content
stringlengths 40
35k
|
---|
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিদের সংসদ নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) বিল ২০১৩ আজ সোমবার সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।উত্থাপনের পর বিলটি পরীক্ষ করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য এই বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলের ১২ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হবেন। ৪৪ই ধারায় বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন সরকারের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বদলির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাতে পারবে এবং কর্তৃপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব তা কার্যকর করবে। ১৩ ধারায় প্রার্থীর জামানত ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই টাকা নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার অথবা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ১৬ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো একটি আসনে একটি দল থেকে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনের মধ্যে দল কর্তৃক লিখিতভাবে একজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্যানেলের অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা তাঁর দপ্তরের উপযুক্ত স্থানে ঝুলিয়ে দেবেন।বিলে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। ৪৪সিসিসি ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে দলীয় প্রধানের যে ব্যয় হবে, তা নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। ৯০এফ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের তহবিলে একজন ব্যক্তি অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ও প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা দিতে পারবে। বিদ্যমান আইনে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ও প্রতিষ্ঠান ২৫ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিতে পারে।এমএলএম বিল: বহুধাপ বিপণন স্তর (এমএলএম) ব্যবসার কার্যক্রম আইনি কাঠামোয় আনতে ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০১৩’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।মন্ত্রিসভা গত ১৯ আগস্ট বিলটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে। সংসদ অধিবেশন না থাকায় গত ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত করা হয়।প্রস্তাবিত আইনে সব ধরনের অপরাধ অজামিনযোগ্য ও আমলযোগ্য করা হয়েছে। অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা। বিলে এমএলএম প্রতিষ্ঠানের পিরামিড আকৃতির বিক্রয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রলুব্ধ বা প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। এ ছাড়া লাইসেন্স ছাড়া এমএলএম ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লাইসেন্সের মেয়াদ হবে এক বছর, যা পরে নবায়ন করা যাবে। এই লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাবে না। শর্ত ভাঙলে লাইসেন্স স্থগিত করা যাবে এবং জেল-জরিমানাও করা যাবে।বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও পরীবিক্ষণের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালা থাকলেও বাংলাদেশে নেই। সম্প্রতি কিছু মাল্টিলেভেল কোম্পানির বিরুদ্ধে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে জনসাধারণকে অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা অথবা অলীক ও অদৃশ্য পণ্য বিপণনের মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালা না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করতে এই আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।মাশরাফি বিন মুর্তজা বাংলাদেশের এমনই একটি অস্ত্র, যে অস্ত্রটি বাংলাদেশ খুব নিয়মিত ব্যবহার করতে পারে না। ‘মেইড ইন নড়াইল’ এই অস্ত্রটি যে কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা অতীতে বারবার প্রমাণ হয়েছে, আজ মিরপুরে প্রমাণ হলো আরও একবার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে এগারো মাস পর মাশরাফির ফেরাটা উদযাপিত হলো দারুণ রাজকীয় ঢংয়ে। মাশরাফি নিজে তাঁর বোলিং দিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত করলেন, সেই সঙ্গে আবারও উষ্কে দিলেন তাঁকে নিয়ে এদেশের ক্রিকেটের নিরন্তর সেই আক্ষেপটি।চোটের বরপুত্র বলে আবার কিছু আছে নাকি! কিন্তু মাশরাফি যেন নিজের জীবনে এই বিশেষণটির সারবত্তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। ২০০১ সালে অভিষিক্ত হওয়ার পর এই চোটের সঙ্গেই তো তাঁর ঘরবসতি। কত রঙে-ঢংয়ে এই চোট যে তাঁকে ছুঁয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। নিয়মিত বিরতিতে বারবার। অন্যকোনো খেলোয়াড় হলে হয়ত এতদিনে খেলাই ছেড়ে দিতেন। কিন্তু মাশরাফি তা করেননি। প্রতিনিয়ত চোটের সঙ্গে লড়াই করে গেছেন। চোটকে নিজের অলংকার মনে করে যেন এর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছেন। কিন্তু চোট কি তা মাশরাফির বন্ধুতা মেনে নেয়! খেলোয়াড়দের জীবনের ‘ভিলেন’ এই চোট যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের কাছ থেকে বারবারই কেড়ে নিয়েছে মাশরাফিকে। হায়, মাশরাফিকে বাংলাদেশের ক্রিকেট যদি নিরবিচ্ছিন্নভাবে পেত!নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১০ সালের ওই ‘বাংলাওয়াশ’ সিরিজে দলের অধিনায়কই ছিলেন মাশরাফি। প্রথম ওয়ানডেতে এক ওভার বল করেই চোটের কারণে মাঠ থেকে চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর গোটা সিরিজটাই তাঁর শেষ হয়ে গিয়েছিল। এক দিক দিয়ে ভালোই হয়েছিল। অন্যদেরকে চিনলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অস্ত্রটিকেই চেনা বাকী ছিল কিউইদের। তাঁকে ২০১৩ সালে খুব ভালো করেই চিনে নিল নিউজিল্যান্ড।২০১০ সালের চোট তাঁকে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে দেয়নি। অনিয়মিত করে দিয়েছে জাতীয় দলেও। কিন্তু মাশরাফি যখনই সুযোগ পেয়েছেন, দুই হাতে দিয়েছেন দলকে। মাশরাফি যে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা একটা পরিসংখ্যানেই বোঝা যাবে। ২০১০ সালের পর তিনি দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র ১৭টি। এতে তাঁর শিকার ২২টি উইকেট। অন্যান্য খেলোয়াড়ের মতো মাশরাফিকে যদি সবসময় পাওয়া যেত, সেটা দলের জন্য কতটা উপকারের হতো, সেটা বলাই বাহুল্য!ম্যাশকে এবারের নিউজিল্যান্ড সিরিজে যেন নতুনভাবেই আবিষ্কার করল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে ৬ ওভার বল করে উইকেট-শূন্য ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর বোলিং ঠিকই ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড-বধের। মাশরাফির তৈরি করে দেওয়া মঞ্চে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হ্যাটট্রিকও পেয়ে গেছেন রুবেল। সেটাতো তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন। দুটো ক্যাচ নিয়ে দলকে তিনি জিততে সহায়তা করেছিলেন। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যেন প্রথম দিন উইকেট না পাওয়ার ক্ষেদ মেটালেন প্রাণ ভরে। ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তিনিই তো আজ জয়ের নেপথ্য নায়ক। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ত সোহাগ, কিন্তু ওই দিনের মতো মূল কাজটা ঠিকই করে দিয়েছেন তিনি। গত সাড়ে তিন বছরে নিজের সেরা বোলিং পরিসংখ্যানটিও যে তিনি পেয়ে গেলেন আজকের ম্যাচেই। এই মাশরাফি যে আমাদের বড় আরাধ্য। অনেক আরাধনার মাশরাফি এভাবেই থাকুন আরও বহুদিন, অনিয়মিত থেকে নিয়মিত হয়ে উঠুক এই অস্ত্র। নতুন করে প্রার্থনা এখন এটাই।রাজধানীর মালিবাগে আজ শনিবার রাতে যাত্রীবাহী একটি বাসকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছুঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন পথচারীকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন হাবিবুর রহমান (৩২) নামের এক পথচারী। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।আহতদের মধ্যে গোলাম কিবরিয়া নামের এক পথচারীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়েছেন রেজাউল করিম ও এহসানুল হাসান নামের দুই বাসযাত্রী। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন চালকের সহযোগী মনির হোসেন ও পথচারী মহিউদ্দিন। আহত পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ জানায়, রাত আটটার দিকে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় রামপুরাগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছুঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসের মাঝখানে আগুন ধরে যায়। আতঙ্কিত হয়ে চালক বাসের গতি বাড়িয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করার সময় চার পথচারীকে ধাক্কা দেন। আহত হন বাস চালকের সহকারী মনির হোসেনসহ চার পথচারী ও দুই যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক হাবিবুরকে মৃত ঘোষণা করেন।হাবিবুরের ভাই মো. বাচ্চু জানান, স্টেডিয়াম মার্কেটে হাবিবুরের একটি সিডির দোকান আছে। উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টর এলাকায় থাকতেন তিনি। গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরে। বাবা আক্কাছ আলী শেখ। মাত্র কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, মিরপুরের বাসিন্দা আহত গোলাম কিবরিয়ার বাহু থেকে বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাসযাত্রী রেজাউলের শরীরের সাত ভাগ পুড়ে গেছে। প্রায় একই পরিমাণ দগ্ধ হয়েছেন যাত্রী এহসানুল। তাঁদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হন চালকের সহকারী মনির। বাসের ধাক্কায় বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় পথচারী মো. মহিউদ্দিনের। জন্ম থেকেই ওই পায়ে পোলিও আক্রান্ত তিনি।এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস শাহবাগ শিশুপার্কের সামনে যাওয়ার পরই বাইরে থেকে কেউ বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। এরপর যাত্রীরা হঠাত্ করেই বাসের সামনের দিকে আগুন দেখতে পান। সেই আগুন মুহূর্তেই ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার লাইটপোস্ট ভেঙে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, গাড়িচালকসহ ১৯ জন দগ্ধ হন। গতকাল দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, ‘নির্বাচন যে পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হবে, সেই গ্যারান্টি নেই। তবে আমরা চেষ্টা করব শান্তিপূর্ণ করতে। ভোট গ্রহণের দিন দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা থাকবেন। কারচুপির কোনো সুযোগ থাকবে না।’আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভোটের দিন বোমা হামলা হতে পারে। আমরা চেষ্টা করব ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। সে জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’বিরোধী দলের অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সম্পর্কে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা কারা করছে? এদের সঙ্গে বিরোধী দলও নেই। জামায়াত-শিবিরই নাশকতা চালাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আসলে তারা নির্বাচন চায় না। তারা চায় দেশকে অস্থিতিশীল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ করতে। বিএনপি তাদের সহযোগিতা করছে। অন্যরাও আছে। তবে তাদের অবরোধ আমরা ভেঙে ফেলব।’এইচ টি ইমাম জানান, নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ বাতিল করেছে। ২ জানুয়ারি এই সমাবেশের দিন নির্ধারিত ছিল। কমিশন মনে করছে, জনসভা করা হলে তা আচরণবিধির পরিপন্থী হবে।অবরোধে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে নাকাল থেকে শুরু হওয়া বিরোধী দলের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।ভোট গ্রহণের আগে মাঠের পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে মনে করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই। বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে না।’ সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘আপনারাই লিখেছেন, লম্বা লম্বা অবরোধে লোকজন ফেডআপ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এ ধরনের কর্মসূচির পক্ষে নয়। আশা করি যারা অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছেন, তাদের শুভবুদ্ধিরও উদয় হবে। গুড সেন্স উইল প্রিভেইল। সুতরাং ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’সিইসি বলেন, খুন-খারাবি এটা অবাঞ্ছিত ঘটনা। কোনো পলিটিক্যাল পার্টির লোকজন এসব করছে না, দুষ্কৃতকারীরা করছে। দুষ্কৃতকারীরা কোনো পার্টির কেউ নন। তারা যে সব অস্ত্র ব্যবহার করছে তাও বৈধ নয়। তাই কমিশন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।৩ জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বিটিভিতেনির্বাচনে অংশ নেওয়া ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রধানরা বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ বিষয়ে অবহিত করে বিটিভি থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ জানুয়ারি ভাষণ দেবেন। এ-সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ সূচি বিটিভি তৈরি করবে।পর্যবেক্ষণে আসছে সার্কের দেশদশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সার্কের সদস্য দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা আসবেন। সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনের সংগঠন ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিজ অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোজা) নেতৃত্বে এসব দেশের পর্যবেক্ষকেরা আসবেন। তবে সদস্য দেশ আফগানিস্তানের পর্যবেক্ষক আসার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। আজ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক ‘প্রথম আলো’কে এই তথ্য জানান।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, সার্কের সদস্য দেশগুলোর পর্যবেক্ষকদের থাকা-খাওয়ার জন্য কমিশন এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।ইতিমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা একতরফা নির্বাচন, নির্বাচনের পরিবেশ না থাকা এবং নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন সচিবালয় জানায়, দেশি পর্যবেক্ষকদের সংগঠন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পাঁচ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। |
দিনের শুরু দেখেই নাকি অনুমান করা যায় বাকি দিনটা কেমন যাবে। কথাটার সত্যতা হয়তো অনেকেই টের পেয়েছে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে। তবে রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকেরা নিশ্চিতভাবেই চাইবে যেন কথাটা তাদের ক্ষেত্রে সত্য প্রমাণিত না হয়। এবারের লা লিগার শুরুটা যে খুব খারাপভাবেই হয়েছে ইউরোপের শীর্ষ ধনী এই ক্লাবের। স্প্যানিশ লিগের প্রথম সাত ম্যাচ পরেই বার্সেলোনার চেয়ে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু বার্সেলোনা নয়, নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকোর সঙ্গেও রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান একই রকম। সব কটি ম্যাচ জিতে পুরো ২১ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো। হতাশাজনক এই শুরুর পর রিয়ালের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা খুবই কমে গেছে বলে মনে করছেন অনেকে। রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের হতাশার বড় কারণ লিগের শেষ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হার। ১৯৯৯ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো ঘটেছে এমন হারের ঘটনা। সেটাও আবার নিজেদের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে। সমর্থকদের মুষড়ে পড়াটাই তো স্বাভাবিক। আর অক্টোবরের শেষে বার্সেলোনার বিপক্ষে এল ক্লাসিকোতেও যদি হারের মুখ দেখতে হয়, তাহলে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন সত্যিই অনেকখানি ফিকে হয়ে যাবে রিয়াল মাদ্রিদের। রিয়ালের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি অবশ্য শোনাচ্ছেন আশার বাণী। লিগের যে এখনো অনেক ম্যাচ বাকি এবং প্রাথমিক হতাশা কাটিয়ে ওঠারও সুযোগ আছে, সেটা বলেই সবাইকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন এই ইতালিয়ান কোচ। তিনি বলেছেন, ‘পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধানটা ছোট না। কিন্তু লিগের এখনো অনেক ম্যাচ বাকি। আর আমরাও একটা লম্বা সময় পাব তাদের ধরে ফেলার জন্য। আমার মনে হয় না, পরিস্থিতি আমাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। এখন আমাদের যেটা দরকার সেটা হলো, উন্নয়নের জন্য দলগতভাবে কাজ করা।’ রিয়াল মাদ্রিদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যে খুব একটা খারাপও নয়, সেটাও সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন আনচেলত্তি, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমরা ভালো করেছি। এ বিষয়টাও আমাদের এখন ভাবতে হবে। আমরা ড্র করেছি মাত্র একটি ম্যাচে।’ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর শহরে নতুন দফা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গতকাল বুধবার তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রদেশটিতে গত মাসেও এক দফা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়ে গেছে।বিবিসি বলছে, অনেক গণমাধ্যমে ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে অভিহিত করা হলেও পুলিশের দাবি, দুই পরিবারের সংঘাতের জেরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।শহরটিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সপ্তাহ খানেকের দাঙ্গায় ৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। এক দশকের মধ্যে দাঙ্গাটি ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। এক নারীকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ করায় তিন ব্যক্তিকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ওই দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।স্থানীয় কর্মকর্তা কৌশল রাজ বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় মুহাম্মদপুরাইসিং গ্রামে হিন্দু-মুসলিম সংঘাতে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তবে মুজাফফরনগরের পুলিশ সুপার হরিনারায়ণ সিং বিবিসিকে জানান, ‘পারিবারিক কলহের জেরে’ এ সংঘাতের শুরু।উত্তর প্রদেশ ভারতের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ। ১৯৯২ সালেও বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দাঙ্গা হয়েছিল প্রদেশটিতে।আসছে বছরে ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, এ ধরনের কাণ্ড ঘটিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মের ভিত্তিতে ভোটারদের বিভক্ত করতে চাইছে।১৮ দলের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগ মুহূর্তে আজ শনিবার ভোরে রাজধানীর দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ইসরাইল হোসেন (২৪) নামের ছাত্রশিবিরের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন।চট্টগ্রাম নগরের এ কে খান রোড ও চাঁদগাঁও এলাকায় অবরোধ-সমর্থকদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে পুলিশের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া নগরের জিইসি মোড় থেকে ৪০০টি গুলিসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। রাজশাহীতে ধান ও ওষুধবাহী পাঁচটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের পাঠানো খবর:ঢাকা: গাবতলী বাস টার্মিনালের কাছে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কে বা কারা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় সকাল সাতটায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ সেখান থেকে আবদুল হালিম ভূঁইয়া ও আনোয়ারুল কবির নামের দুজনকে আটক করে। সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর গ্রিন রোডে অবরোধের সমর্থনে বের করা শিবিরের মিছিল থেকে সাত-আটটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একই সময় রামপুরায় মিছিল করতে গিয়ে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে সাভারের আমিনবাজার-সংলগ্ন সালেহপুর ব্রিজের কাছে অবরোধ-সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকেল চারটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরের একে খান ও চাঁদগাঁও এলাকায় অবরোধ-সমর্থকদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আনিসুর রহমান ও অঞ্জন নামের পুলিশের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। অবরোধকারীদের ছোড়া গুলিতে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন বলে পুলিশের দাবি।এদিকে পলিব্যাগে করে ৪০০টি গুলি নিয়ে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ নগরের জিইসি মোড় থেকে আনোয়ার হোসেন ও আবুল হোসেন নামের দুজনকে আটক করে।রাজশাহী: অবরোধ শুরুর আগেই নগরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় ধানবোঝাই চারটি ট্রাক ও ওষুধবাহী একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওষুধবাহী গাড়ির চালক আহত হয়েছেন।ধানবাহী ট্রাকগুলোর চালকেরা চালক জানান, নওগাঁ থেকে ধান বোঝাই করে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ যাচ্ছিলেন তাঁরা। চারটি ট্রাকে এক হাজার ২০ বস্তা ধান ছিল। প্রতিটি বস্তায় দুই মণ করে ধান ছিল।চালকেরা জানান, দিবাগত রাত একটার দিকে দেওয়ানপাড়া এলাকায় রাস্তার ওপর কাঠের গুঁড়ি দেখে গাড়ি থামালে মাফলারে মুখ বাঁধা একদল মানুষ ইটপাটকেল ছোড়ে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। একজন চালক প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে গিয়ে খবর দিলে তাঁরা গিয়ে আগুন নেভান বলে ওই স্টেশনের কর্মকর্তা এনায়েতুল হক জানান।ঝিনাইদহ: কোটচাঁদপুর উপজেলায় শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইসরাইল হোসেন (২৪) নামের একজন নিহত হন। উপজেলার হরিণদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইসরাইল শিবিরের কর্মী বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদ হোসেন।ফেনী: দাগন ভূঞায় গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে অবরোধ-সমর্থকেরা যাত্রীবাহী একটি বাস থামিয়ে প্রথমে লুটপাট চালায় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় একটি পিকআপে অগ্নিসংযোগ এবং সাতটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।নোয়াখালী: অবরোধকারীরা শহরের মাইজদি বাজার, শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, পৌর বাজার, রশিদ কলোনি, দত্তেরহাট, সোনাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। পুলিশ গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ২০টি রাবারের গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। এ ছাড়া পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটজনকে আটক করে।জেলার সোনাইমুড়ী এলাকায় নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করায় সংবাদপত্রের গাড়ি লক্ষ্মীপুর পৌঁছাতে পারেনি।চাঁদপুর: আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের মঠখোলা এলাকায় অবরোধকারীদের হামলায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মাহবুব মোরশেদ জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।শহরের মিশন রোড ও আক্কাস আলী হাইস্কুল এলাকায় চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। পরে পুলিশ এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।সিরাজগঞ্জ: পৌর এলাকার সমাজকল্যাণ মোড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। এ সময় অবরোধকারীরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।সরিষাবাড়ী (জামালপুর): অবরোধ চলাকালে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জামালপুর ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হয়। তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।টঙ্গী (গাজীপুর): কলেজগেট এলাকায় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালানো ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় কমপক্ষে সাতজন শিবির কর্মী আহত হন।মাগুরা: শহরের পারনান্দুয়ালি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে বেলা দেড়টার দিকে অবরোধকারীরা মালবাহী একটি ট্রাকে আগুন দেয়। এদিকে শহরের পারনান্দুয়ালি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকেও অবরোধকারীরা একটি মালবাহী ট্রাকে ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে দমকলকর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়।মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সাহেব আলী পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।যশোর: সকাল ১০টার দিকে যশোর-বেনাপোল সড়কের নতুন হাট এলাকায় ২৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানদের সঙ্গে ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চারটি গুলি ছোড়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে ঝিকরগাছা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় অবরোধকারীরা। গাছ সরিয়ে নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ২০টি রাবারের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০ জন আহত হয়।বরগুনা: বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স গুরুতর অসুস্থ দুই শিশুকে নিয়ে বরিশাল যাওয়ার সময় বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কের চৈতা এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় অবরোধ সমর্থনকারীরা।৭২ ঘণ্টার অবরোধে বিচ্ছিন্ন ঘটনাচট্টগ্রামে ৪০০ গুলিসহ আটক ২ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকাতে এক প্রেস শ্রমিক আজ মঙ্গলবার সকালে কাগজের রোলের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে। দাউদের বাঁধাই কারখানার অধীনে কর্মরত শ্রমিকটি অনুপম প্রকাশনীর পুস্তক বাঁধাইয়ের কাজে নিয়োজিত ছিল।ঢাকার গেন্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক হরিদাস রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আজ ভোর ৬টায় কারখানায় কর্মরত অবস্থায় শাকিল ওই দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি বলেন, মোহম্মদ শাকিল (২৯) নামের ওই শ্রমিকের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উমরপুর গ্রামে।রাত সাড়ে ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাকিলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল। হরিদাস রায় বলেন, রাতেই শাকিলের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। |
দীর্ঘদিন পর আবার ভারতের ওয়ানডে দলে ফিরতে যাচ্ছেন যুবরাজ সিং। সাম্প্রতিক সময়ে ‘এ’ দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন ভারতীয় এই অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ও সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ভারতের ১৫ সদস্যের দল। আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফর। ভারতের হয়ে যুবরাজ শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত জানুয়ারিতে। এরপর ভালো ফর্মে না থাকায় বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। আবারও ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েই দলে জায়গা করে নিতে হয়েছে যুবরাজকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে টানা তিনটি ওয়ানডেতে তিনি খেলেছেন ১২৩, ৪০ ও ৬১ রানের লড়াকু ইনিংস। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস। যুবরাজের মতো ভালো পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ পাননি গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর শেবাগ। তাই এবারও দলের বাইরেই থাকতে হচ্ছে এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে। ১০ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে ভারত। এরপর ১৩ অক্টোবর শুরু হবে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের চলমান সহিংসতার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে তিনি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সংবাদ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, বান কি মুন সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরমতসহিষ্ণুতা চর্চা ও শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।সংলাপ আয়োজনে নেওয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো অব্যাহত থাকবে বলে জাতিসংঘের মহাসচিব আশা প্রকাশ করেছেন। একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তিনি সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৮ দল আহুত ৬০ ঘণ্টার হরতালে ১৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।এ বছরের শুরুতে জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সহিংস ঘটনা বাড়ছে। তিনি প্রতিবারই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সংসদের মেয়াদ গত সপ্তাহে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নিয়মানুযায়ী ২০১৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। সিরিজ হার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেটের সহজ জয় দিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাটাই শুধু এড়াতে পারল স্বাগতিকেরা। জয়ের জন্য ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১ ওভার বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। শেষ ওয়ানডেতে হারের মুখ দেখলেও ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান।লক্ষ্যটা সহজ হলেও শুরুতে কিছুটা চাপের মুখেই পড়েছিল প্রোটিয়ারা। প্রথম ২০ ওভারের মধ্যে ৮৪ রানেই হারিয়েছিল চারটি উইকেট। তবে এরপর শক্ত হাতেই দলের হাল ধরেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ৬৩ বলে ৪৮ রানের ধীরস্থির ইনিংসটি খেলে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরে। ওপেনার হাশিম আমলা ৪৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে দুর্ভাগ্যবশত হয়েছিলেন রানআউটের শিকার। শেষ পর্যায়ে ডেভিড মিলারের ২৪ ও রায়ান ম্যাকলারেনের ১৭ রানের ছোট ইনিংস দুটিও ভালো অবদান রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে।এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। অধিনায়ক মিসবাহ উল হক একাই লড়াই চালিয়েছেন। তাঁর ৭৯ রানের হার না মানা ইনিংসটির সুবাদেই স্কোরবোর্ডে ১৭৯ রান জমা করতে পেরেছে পাকিস্তান। ২৫ রান এসেছে উমর আমিন ও শোয়েব মাকসুদের ব্যাট থেকে।ভারতের দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য এবার বিদ্যুতেও ভর্তুকি দিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির (এএপি) রাজ্য সরকার।আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকের পর কেজরিওয়াল ওই ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ভারতের বেসরকারি তিনটি বিদ্যুৎ কোম্পানির হিসাব নিরীক্ষণ করতে দেশটির কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলকে (সিএজি) নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।কেজরিওয়ালের ঘোষণা অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা সরকারের পক্ষ থেকে আগামী তিন মাস ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাবেন। এ সুবিধা দেওয়ায় ভারত সরকারের খরচ বাড়বে ৬১ কোটি রুপি।বিদ্যুতে দেওয়া ওই ভর্তুকি ছিল বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির দেওয়া অন্যতম প্রতিশ্রুতি। এতে ২৮ লাখ ভোক্তা উপকৃত হবেন।এদিকে গতকাল সোমবার দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য বিনা মূল্যে ২০ হাজার লিটার সুপেয় পানি সরবরাহের ঘোষণা দেন কেজরিওয়াল। এর এক দিন পরই আজ তিনি বিদ্যুতের দাম কমানোর ঘোষণা দিলেন।মাত্র তিন মাসের জন্য ভর্তুকির ব্যাপারে জানতে চাইলে কেজরিওয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, হিসাব নিরীক্ষণ প্রতিবেদনের পর পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, অর্থের হিসাব-সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর তিনটি বিদ্যুৎ কোম্পানির মতামতের ওপর ভিত্তি করে আগামীকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদের একটি বৈঠক হবে।কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘ওই কোম্পানিগুলোর উত্তরের ধরন বিশ্লেষণ করে আমরা তাদের হিসাব নিরীক্ষণ করব কী করব না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’ |
পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ভারতের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে আজ সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) এক বিশেষ আদালত লালুকে দোষী সাব্যস্ত করেন।ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস (আইএএনএস) জানায়, বিহারের পশু খামার বিভাগের তহবিল থেকে কোটি কোটি রুপি অর্থ অবৈধভাবে তুলে নেওয়ার আপরাধে লালু প্রসাদ যাদবসহ ৪৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।রায়ের পর ৬৫ বছর বয়সী লালুকে রাঁচির বীরসা মুণ্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। লালুসহ ৩৭ জনের সাজা নির্ধারণের জন্য আদালত আগামী ৩ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেছেন। তবে দোষীদের আটজনের সাজা আজ নির্ধারণ করেছেন আদালত। বিহারের সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতের অপরাধ প্রতিরোধ আইন ১৯৯৬ অনুযায়ী বিশ্বাসভঙ্গ, জালিয়াতি, প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সিবিআইয়ের এক আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলায় অভিযুক্ত ৪৫ জনকেই বিশেষ আদালতের বিচারক প্রভাষ কুমার সিং দোষী বলে চিহ্নিত করেছেন।’ দোষীদের মধ্যে বিহারের কংগ্রেসদলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র এবং জনতা দল-সংযুক্তের বিধায়ক জগদীশ শর্মাও আছেন। দোষী ব্যক্তিরা চাইবাসা জেলার তহবিল থেকে ৩৭ কোটি ৭০ লাখ রুপি অবৈধভাবে তুলে নেওয়ার দোষে দুষ্ট।২০০০ সালে বিহার রাজ্য ভেঙে যাওয়ার পর চাইবাসা জেলা ঝাড়খন্ড রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার কিছু অংশ নতুন রাজ্যে বিচারাধীন।আদালত আজ আটজন দোষীকে তিন বছর করে কারদণ্ড ও ৫০ হাজার থেকে ৫০ লাখ রুপি জরিমানা করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সাবেক আইনপ্রণেতা ধ্রুব ভগত ও পশুসম্পদ বিভাগের সাবেক সচিব কে আগুমুগাম।লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজস্বী আজ প্রতিবেদকদের জানান, তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।গ্রামীণ ব্যাংকের প্রস্তাবিত বিধিমালা বাস্তবায়িত হলে প্রতিষ্ঠানটিতে রাজনীতি ঢুকে পড়বে। আর রাজনীতির হানাহানির মধ্যে ব্যাংকটি ধ্বংস হয়ে যাবে।গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান। রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।একই দিনে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালকদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করা হয়। পরিচালকদের পক্ষে তাহসিনা খাতুন অভিযোগ করেন, অন্য সরকারি ব্যাংকগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংককে সরকারীকরণ করলে এর পরিণতিও অন্য সরকারি ব্যাংকগুলোর মতো হবে।সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এম শাহজাহান বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০ থেকে ৪০ হাজার সদস্য ভোটার হবেন। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের মতো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে প্যানেল দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এক প্যানেল হারলে অন্য প্যানেল অসহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে। এ হানাহানির মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংক স্বকীয়তা নিয়ে টিকে থাকতে পারবে না।শাহজাহান আরও বলেন, গ্রামীণ ব্যাংককে সঠিকভাবে পরিচালনায় সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও ব্যাংকের ভেতরে রাজনীতি ঢুকে পড়লে ক্ষতি হবে। এটাই ভীতির কারণ। তাঁর মতে, নতুন নির্বাচন বিধিমালা বাস্তবায়ন করলে গ্রামীণ ব্যাংক বড় ঝুঁকিতে পড়বে। নির্বাচনী বিধি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী।গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকে ১৪ হাজার কোটি টাকার আমানত রয়েছে। আর সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলতে দেওয়া উচিত। গত আড়াই বছরে বিরূপ পরিবেশের পরও গ্রামীণ ব্যাংক টিকে আছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলে যাওয়ার পরও ব্যাংকের কর্মীরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর পরিবর্তে ‘গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩’ জারি করার নামে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে রাজনৈতিকীকরণ করার অপকৌশল গ্রহণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যাংকের কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ছিল একটি রাজনীতিমুক্ত, স্বচ্ছ এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। নতুন পদ্ধতিতে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন না হয়ে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালকের নির্বাচন হবে। যখনই গ্রামীণ ব্যাংকের বাইরের কাউকে দিয়ে এ নির্বাচন হবে, তখনই নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় রাজনীতি ঢুকে যাবে। ফলে যে সুশৃঙ্খল কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালিত হতো, সে কাঠামো ভেঙে পড়বে, গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।শামসুল আলম জানান, আগামী ৩ নভেম্বর গ্রামীণ ব্যাংকের সব আঞ্চলিক ও এলাকাভিত্তিক কার্যালয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে কর্মচারী সমিতি।কর্মচারীদের অনুষ্ঠানের পর গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।সংবাদ সম্মেলনে তাহসিনা খাতুন বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর পরিবর্তে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩ জারি করার নামে বর্তমান সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ৮৪ লাখ দরিদ্র নারীকে ক্ষমতাহীন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।সরকার নতুন বিধিমালা অনুমোদন দিয়ে কার্যকর করলে কী করবেন—সাংবাদিকেরা এ প্রশ্ন তুললে তাহসিনা খাতুন বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সরকারকে এ আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ করছি। তার পরও সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে, তা হলে সারা দেশ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যরা হাজির হবে।’সংবাদ সম্মেলন ও সমাবেশে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।ক্রিকেটের অলিগলি ছিল হাতের তালুর মতোই চেনা। কিন্তু রাজনীতি? যত বড় ক্রিকেটারই হন না কেন; এটি বোঝা এত্ত সহজ নয়। অন্তত শচীন টেন্ডুলকারের মতো নিপাট ভদ্রলোকের তো বোধগম্য হওয়ার কথাই নয়। জানলে হয়তো আগেই বলে দিতেন ‘ভারতরত্ন’ চাই না আমার!কদিন আগেই লিটল মাস্টারকে সবচেয়ে বড় বেসামরিক খেতাব দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন দুই ব্যক্তি। এর কদিন না যেতেই আবারও একই চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হলো মাদ্রাজ উচ্চ আদালতে। আইনজীবী কানাকাসাবাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি আরকে আগারওয়াল এবং বিচারপতি এম সত্যনারায়ণ গঠিত বেঞ্চ ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেছেন আদালত ।কানাকাসাবাই ভারতরত্ন পুরস্কার প্রসঙ্গে বলেন, প্রজ্ঞাপনের (১৯৫৪ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত) ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিষ্কার বলা হয়েছে, শিল্প, সাহিত্য এবং বিজ্ঞানে অনন্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার প্রদান করতে হবে। তাঁর যুক্তি, গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী যে দুজনকে (শচীন টেন্ডুলকার ও বিজ্ঞানী সিএনআর রাও) ভারতরত্ন খেতাব দিয়েছেন, সেটি প্রজ্ঞাপনবিরোধী।কানাকাসাবাইয়ের ‘লড়াইটা’ মূলত টেন্ডুলকারের বিরুদ্ধেই। এ আইনজীবীর যুক্তি, প্রজ্ঞাপনের নিয়মানুযায়ী বিজ্ঞানী রাও ভারতরত্ন পেতে পারেন। তবে টেন্ডুলকার মোটেও যোগ্যতার শর্ত পূরণ করেননি। কেননা, লিটল মাস্টার শিল্প, সাহিত্য কিংবা বিজ্ঞানে অবদান রাখেননি।কিন্তু কথা হলো, দুই যুগ ধরে ২২ গজে তিনি যা করেছেন তা শিল্পের চেয়ে কোন অংশে কম? তা ছাড়া যে টেন্ডুলকারকে ভারতীয়রা দেবতার আসনে বসিয়েছে, তাঁর পুরস্কার নিয়ে কেন প্রশ্ন? এর নেপথ্যেও রাজনীতি। ভারতরত্ন নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক। আর সেটারই ফিতে কাটা হয়েছে টেন্ডুলকার ও রাওকে এ খেতাবে ভূষিত করার মধ্য দিয়ে।প্রায় নয় মাস পর আজ টেস্ট খেলতে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। ‘দীর্ঘদিন’ টেস্টের বাইরে থেকে কী মরচে পড়েছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দলের? আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা বাজেই গেলো লঙ্কানদের। প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানে অল আউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান দিন শেষে করেছে ১ উইকেটে ৪৬।টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটে পাঠায় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার শুরুটাও হয়েছিল বেশ। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৫৭ রান। জুনায়েদ খানের শিকার হয়ে করুনারত্নের বিদায় দিয়ে শুরু, আর থামাথামি নেই! দেখতে দেখতে ১২৪ রানে শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেট হাওয়া!উইকেট যাওয়া-আসার মিছিলের ভেতরই মাথা জাগিয়ে ছিলেন অধিনায়ক ম্যাথুস। সাঈদ আজমলের বলে আউট হওয়ার আগে একাই লড়াই চালিয়েছেন। কিন্তু সতীর্থরা যখন আত্মসমপর্ণ করেন, তখন একার পক্ষে দুর্গ সামলানো সম্ভব হয় না। ম্যাথুসও পারেননি। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক থেকে ৯ রান দূরে থেকেই বিরসবদনে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।৬৫ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার ‘সর্বনাশে’র পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার জুনায়েদ খান ও বিলওয়াল ভাট্টি। জুনায়েদ ৫৮ রানে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এছাড়া বিলওয়াল ভাট্টি তিনটি ও সাঈদ আজমল নিয়েছেন দুটি উইকেট। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৮.১ ওভারে তুলেছে ১ উইকেটে ৪৬। খুররাম মঞ্জুর রান আউটে কাটা পড়ার আগে করেছেন ২১। আহমেদ শেহজাদ অপরাজিত রয়েছেন ২৫ রানে। সনি সিক্স, রয়টার্স ও ওয়েবসাইট |
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার সময় এক ভারতীয় নাগরিকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি।আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে হিলি চেকপোস্ট ক্যাম্পের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাঁদের আটক করেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ভারতীয় চার হাজার রুপি, ৩৮ হাজার বাংলাদেশি টাকাসহ দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার লেহাম্বা গ্রামের কৃষ্ণ (১৭), একই উপজেলার বাছর গ্রামের মঙ্গল (২০), বাগসা গ্রামের ফলিন বর্মণ (২৪), রুহিয়া উপজেলার উভয় বোয়ালিয়া গ্রামের রুহানি কুমার বর্মণ (২০), জেলা সদরের মলালকুড়ি গ্রামের সুশি (২২) এবং ভারতের উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ গ্রামের উদয়বর্মণ (৪৭)।বিজিবির হিলি চেকপোস্ট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আতাহার আলী জানান, আজ দুপুরে ওই ছয়জন হিলি সীমান্তের ২৮৫/১৯ নম্বর সাব সীমানা পিলারের কাছ দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁদের স্থানীয় থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি সুশি জানান, ‘ভারতে দুর্গাপূজা দেখাতে নিয়ে যাবে বলে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার রণজিত (৫০) আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে নেয়। আজ সোমবার হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের আটক করে বিজিবি।’হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আহসান হাবীব জানান, আসামিদের আগামীকাল মঙ্গলবার দিনাজপুর কোর্ট পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।মায়ের কাঁধে মাথা এলিয়ে দিয়ে আছে বছর দুইয়ের ছোট্ট নুসরাত। মুখে গুটি বসন্তের মতো লাল দাগ। ফ্রকে লেগে আছে রক্ত। মায়ের পোশাকেও সেই রক্তের চিহ্ন। ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে একদিকে। নির্বাক। এখনো বুঝে উঠতে পারছে না তার শরীরে রক্ত কেন? কী অপরাধ তার। কেন তাকে রক্তাক্ত হতে হলো। ঘরেই তো বসেছিল। মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার আকস্মিতায় হতবিহ্বল মা রোখসানা আকতারও। চিত্রটি গত সোমবারের। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনে হাটহাজারীর বাস স্টেশন এলাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত হয় মা-মেয়ে। তাঁরা ছিলেন রাস্তার পাশের তিন তলার বাসার বারান্দায়।ঘটনার পর থেকে মুখে খাবার তুলছে না নুসরাত। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পরও শত চেষ্টায় মেয়ের মুখে কিছু দিতে পারেননি রোখসানা। আঘাতে মুখ ফুলে গেছে নুসরাতের। ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছে ছোট্ট শরীরটি। শুধুই কান্নাকাটি করে চলেছে। ভয়ে জড়সড় অবস্থা। রোখসানার নিজেরও আতঙ্ক কাটেনি এখনো। কথা বলতেও ভয় পাচ্ছেন। শেষে আবার কী হতে কী হয়ে যায়—এই আশঙ্কা পরিবারটির সবার চোখেমুখে। কারণ, স্বামী প্রবাসী। দুই মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। তাই বাড়তি কোনো ঝামেলায় জড়াতে চান না।কী ঘটেছিল সেদিন: ২৮ অক্টোবর, বিকেল সাড়ে পাঁচটা। বাস স্টেশন এলাকার ওয়াদুদিয়া মাদ্রাসার পাশের ভাড়া বাসার বারান্দায় শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে নুসরাতকে নিয়ে বসে ছিলেন রোখসানা। হঠাৎ কানে লাগে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। চারদিকে ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে যায়। এরপর রোখসানা দেখেন তাঁর শরীরে রক্ত। কোলে থাকা নুসরাতের মুখ লাল। গায়ে রক্ত। বাসার বারান্দার পর্দা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন। কাতরাচ্ছে মা-মেয়ে। তাঁদের অবস্থা দেখে পাশের বাসার পল্লি চিকিৎসক সুজিত দাশ এসে উদ্ধার করেন। তিনি প্রথমে তাঁদের হাটহাজারীর বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আনা হয় চমেক হাসপাতালে। অবশ্য মেয়েকে নিয়ে পরদিন বাসায় চলে যান রোখসানা।নুসরাতের দাদি মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘গদির জন্য তারা মারামারি করছে। আর মরছি আমরা। আমাদের কী অপরাধ। আমরা তো কোনো কিছুতে নেই। বাসায় বসেছিল আমার নাতনি। তার পরও তার গায়ে এসে লাগল গুলি। এখন নুসরাত কিছুক্ষণ পরপর ডুকরে কেঁদে উঠছে।’চিকিৎসকেরা জানান, নুসরাতের আঘাতটা তেমন গুরুতর নয়। শরীরে স্প্লিন্টার বিঁধেছে। তবে তা সেরে যাবে। কিন্তু শরীরের আঘাতের চেয়েও তার মনের আঘাতটা গুরুতর। সেটা সারতে সময় লাগবে।মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল বলেন, এই আঘাত শুধু শারীরিক নয়, তার মনকেও রক্তাক্ত করেছে। যার দীর্ঘস্থায়ী একটা প্রভাব পড়বে তার জীবনে। প্রথম চার সপ্তাহে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নে হানা দেবে ঘটনাটি। পুলিশের পোশাক দেখলে আঁতকে উঠবে। সে কখনো হতবাক, কখনো নির্বাক হয়ে যেতে পারে। নিজেকে গুটিয়ে নেবে। চার সপ্তাহ পর তার স্থায়ী উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা ও মনোযোগের ঘাটতি তৈরি হবে। সে ঘর থেকে বের হবে না। ঘটনাটা মনে পড়লে তার মধ্যে একধরনের যাতনা তৈরি হবে। সব উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে সে। এ জন্য তাকে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। পাশে দাঁড়াতে হবে আপনজনকে।এয়ারটেল বাংলাদেশ তাদের ‘ভ্যালু অ্যাডেড’ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে মাহিন্দ্র কমবিভাকে। সম্প্রতি দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিন বছর মেয়াদি একটি চুক্তি হয়েছে বলে এয়ারটেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এয়ারটেল বাংলাদেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) লুত্ফর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘মাহিন্দ্র কমবিভা ইতিমধ্যেই একটি বিশ্বাসযোগ্য সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। আশা করি, তারা কার্যকরভাবে ভ্যালু অ্যাডেড সেবা পরিচালনা করবে।’মাহিন্দ্র কমবিভার ভিএএস ম্যানেজ সার্ভিস প্রধান অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘এটি মাহিন্দ্র কমবিভার জন্য একটি স্মরণযোগ্য ঘটনা। এর আগে আমরা ২০টি দেশে এয়ারটেলকে সফলতার সঙ্গে এ সেবা প্রদান করেছি । ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফ্রিকার দেশগুলোতে আমাদের সফলতার কারণেই বাংলাদেশের জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আমরা এয়ারটেলকে আবারও সেই বিশ্বাস প্রদান করছি।’প্রসঙ্গত, মাহিন্দ্র কমবিভা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩৫টি টেলিকম অপারেটরকে সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন রকমের ভ্যালু অ্যাডেড সেবা দিয়ে আসছে। মাহিন্দ্র কমবিভার সঙ্গে এই চুক্তির ফলে এয়ারটেলের খরচ প্রায় ২০ শতাংশ কমবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।দক্ষিণ সুদানে চলমান সংঘাত নিরসনে দেশটির সরকার ও বিরোধী পক্ষ আজ মঙ্গলবার রাতে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারীরা।বিবিসি জানায়, হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে এক চুক্তিতে উপনীত হতে পারে দুই পক্ষ।সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের অনুগত সেনারা পরস্পরের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়। এতে কমপক্ষে ৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়। সংঘর্ষ শুরুর পর শান্তি প্রতিষ্ঠায় এটাই প্রথম উদ্যোগ।বিবিসি বলছে, পূর্ব আফ্রিকার নেতাদের মধ্যস্থতায় ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।ইথিওপীয় সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, সালভা কির ও রিক মাচারের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেবেন। আরও বলা হয়, ‘আশা করা হচ্ছে, হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে এবং চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে উপনীত হতে দুই পক্ষ চুক্তিবদ্ধ হবে।’ |
পদমর্যাদা বাড়ানোর দাবিতে কর্মবিরতি পালনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। অন্যথায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আজ সোমবার সরকার এক প্রেসনোট জারি করে এই কথা বলেছে। প্রেসনোটে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল উচ্চতর পর্যায়ে নির্ধারণ করার বিষয়টি সক্রিয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং এ বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় পর্যায়ে যথাযথ কার্যক্রম চলমান। প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সরকার সর্বদা সজাগ রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলেই প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।এ পর্যায়ে লক্ষ করা যাচ্ছে, অল্প কিছুসংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কোনো কোনো মহলের প্ররোচনায় অহেতুক কর্মবিরতি পালনসহ অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। শিক্ষকদের বেতনক্রম উন্নীতকরণে সরকারের আন্তরিক প্রয়াস সত্ত্বেও এ ধরনের কর্মসূচি অনভিপ্রেত। বিশেষ করে দেশের প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে এবং দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।এমতাবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল বৃদ্ধির দাবিতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ডাকে শিক্ষকেরা গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে জোটের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তাফা ভুইয়া প্রথম আলো ডটকমকে জানান, কাল বিকেল পাঁচটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮-দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।জোটের একটি সূত্র জানায়, কালকের বৈঠকে জোটের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়াও বৈঠকে জোটের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে।শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সঙ্গে মন-কষাকষির কারণে মেয়ে আরাধ্য আর স্বামী অভিষেককে নিয়ে আলাদা সংসার পাতার পরিকল্পনা করছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন—সম্প্রতি এমন খবরে হইচই পড়ে গেছে বলিউডে। তবে বিষয়টিকে স্রেফ গুজব বলেই দাবি করেছেন অভিষেক বচ্চন।মুম্বাইয়ের জুহুতে পাঁচ-পাঁচটি বাংলোবাড়ি আছে বচ্চনদের। ‘জলসা’ নামের বাংলোবাড়িতে থাকেন বচ্চন পরিবারের সদস্যরা। ২০০৭ সালে বিয়ের পর থেকে অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনের সঙ্গে যৌথ পরিবারেই বসবাস করে আসছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সম্প্রতি টুইটারে অভিষেককে তাঁর এক ভক্ত জিজ্ঞেস করেছিলেন, সত্যিই তিনি ও ঐশ্বরিয়া ‘জলসা’ ছেড়ে নতুন বাড়িতে ওঠার পরিকল্পনা করছেন কি না। জবাবে বাড়ি ছাড়ার খবরকে ভিত্তিহীন গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, এসব বাজে খবরের কোনো মানে হয় না। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।এদিকে ঐশ্বরিয়ার কাছের একটি সূত্রও বাড়ি ছাড়ার খবর সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে ওই সূত্রের ভাষ্য, বর্তমান যুগের বেশির ভাগ মেয়েই বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে থাকেন না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঐশ্বরিয়া। বিয়ের পর থেকেই তিনি শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকছেন। একসঙ্গে থাকতে গেলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিছুটা খিটিমিটি লাগতেই পারে। কিন্তু পারিবারিক বিষয় জনসমক্ষে আনার পক্ষপাতী নন বচ্চনরা।উল্লেখ্য, সম্প্রতি বলিউডকেন্দ্রিক কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়, ঐশ্বরিয়ার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত নানা বিষয়ে জয়ার নিয়মিত হস্তক্ষেপের বিষয়টি ঠিক হজম করতে পারছেন না অ্যাশ। এমনকি তাঁর পেশাগত নানা বিষয়েও নাক গলান জয়া। এসব কারণে বউ-শাশুড়ির মধ্যে খিটিমিটি বেধেছে।এদিকে অবকাশযাপন শেষে কিছুদিন আগে দুবাই থেকে ভারতে ফিরেছেন অভিষেক, ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্য। দুবাইয়ে ছুটি কাটানোর সময় তাঁদের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার মা-বাবা ও ভাই থাকলেও ছিলেন না অমিতাভ, জয়া। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুরে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন সূত্রে জানা যায়, আজ সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুরে লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের দুটি বগি ছিটকে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা ও কালনী এক্সপ্রেস জেলার নোয়াপাড়া রেলস্টেশনে আটকা পড়ে। পাশাপাশি মালবাহী অপর দুটি ট্রেন আটকা পড়ে রশিদপুরে। এতে ট্রেন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার কাজী শহিদুর রহমান রাত সাড়ে সাতটার দিকে ‘প্রথম আলো’কে জানান, উদ্ধার ট্রেন ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। লাইন পুনরায় চালু হতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। |
কিশোরগঞ্জে শিশুকন্যাসহ মাকে হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ডাকাতিসহ দুজনকে হত্যা মামলায় আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আ ম মো. সাঈদ আজ সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ২১ জুলাই দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কলাপাড়া গ্রামে প্রথম ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রবিউল সুমন (২৫) নামের এক ব্যক্তি বাড়ির ভেতর ঢুকে সালমা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধূ ও তাঁর তিন বছর বয়সী শিশুকন্যা সাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন। পরে সালমার ঘরে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান সুমন।এ ঘটনায় ওই দিনই সালমার স্বামী আসাদুজ্জামান টিপু বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরদিন ভোরে কুমিল্লার লাকসাম থেকে পুলিশ ঘাতক সুমনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক শেখ আবদুল্লাহ আদালতে অভিযাগপত্র দেন। পরে সুমনকে একটি ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে কিশোরগঞ্জ থানা থেকে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি কৌশলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান। আজ বিচারক আসামি রবিউল সুমনের অনুপস্থিতিতে তাঁর ফাঁসির রায় দেন।অন্য মামলাটি ভৈরব উপজেলায় দুজনকে হত্যাসংক্রান্ত। ২০০৭ সালের ২৩ জানুয়ারি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে রাত সাড়ে তিনটার দিকে একদল ডাকাত গৃহকর্তা আনোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা সুলতানাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় ডাকাতদল নগদ ৭০ হাজার টাকা ও সাত ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। ডাকাতেরা ওই দম্পতির ছেলে হামদাদকে গুরুতর আহত করে।এ ঘটনায় নিহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আদনান হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।ওই মামলায় আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত দু্ই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মিঠু ওরফে মোশাররফ, আনার হোসেন, জামাল উদ্দিন, রনি মিয়া, কালা মিয়া, বাবুল মিয়া, একরাম হোসেন ও শাহিদ মিয়া। তাঁদের মধ্যে প্রথম চারজন জেলহাজতে এবং শেষ চারজন পলাতক। বাকি দুই আসামি সুমন ও জিল্লু মিয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।উভয় মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শাহ আজিজুল হক এবং আসামিপক্ষে প্রথম মামলায় আজহারুল ইসলাম স্বপন ও দ্বিতীয় মামলায় ক্ষিতিশ চন্দ্র দেবনাথ মামলা পরিচালনা করেন।কৌতুক করেই বলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ‘এবার আর ৪-০ হবে না।’ গতবার এই বাংলাদেশ সফরেই ৪-০তে ধবলধোলাই হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। যেটি ক্রিকেটে ‘বাংলাওয়াশ’ নামে সুখ্যাত। এবার অবশ্য সিরিজের তিনটি ম্যাচ বলে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মজা করেই বলেছিলেন কথাটা। তবে ৪-০ না হোক, ৩-০ তো হতেই পারে! আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিও ৪০ রানে জিতে সেই সম্ভাবনা জাগাল বাংলাদেশ।প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবালের ফিফটির সুবাদে ২৪৭ রান করা বাংলাদেশ আজ নিউজিল্যান্ডকে আটকে দিয়েছে ২০৭ রানে। তিনটি করে উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের নায়ক সোহাগ গাজী ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুটা মাশরাফিই করেছিলেন। ১ রানে কিউই ওপেনার হামিশ রাদারফোর্ডকে বোল্ড করে। টিম সাউদির স্টাম্প উপড়ে ফেলে শেষটাও করলেন মাশরাফিই।মাশরাফি রাদারফোর্ডকে ফেরানোর পরপরই সোহাগ আর রাজ্জাক জোড়া আঘাত হানলে মাত্র ৩৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশি বোলারদের ভালোই ভোগাচ্ছিলেন টেলর আর কোরি অ্যান্ডারসন। ২৭তম ওভারে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মাশরাফিই। উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।আজ বাংলাদেশের সব বোলারই মোটামুটি ভূমিকা রেখেছেন। যে সময় দরকার ছিল, ঠিক সেই সময় যেমন বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন পার্টটাইম বোলার মুমিনুল হক। মুমিনুল প্রথমে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। ভাঙেন টেলরের সঙ্গে কিউই অধিনায়কের ২৪ রানের জুটিটাও। দুই বল পরেই রানআউটের ফাঁড়ায় পড়ে বিদায় নেন টম ল্যাথাম। ১৩১ রানেই নেই নিউজিল্যান্ডের ৬ উইকেট। মাঝখানে বোলিংয়ের নায়ক সোহাগ। প্রথম পাঁচ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে এক উইকেট নেওয়া সোহাগ দ্বিতীয় পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে এসে যেন আরও দুর্দান্ত বোলিং করলেন। পাওয়ার প্লেতে করা নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সোহাগ ফিরিয়ে দিলেন নিশামকে। এর পরের ওভারে ফিরিয়েছেন গলার কাঁটা হয়ে উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকা রস টেলরকেও (৪৫)। মুমিনুল আবার আক্রমণে ফিরে এসে তুলে নেন ২৩ বলে ২৫ করা নাথান ম্যাককালামকে ।১৯৪ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের জয়টা ছিল সময়ের ব্যাপার। বোলিং আক্রমণে ফেরা মাশরাফি ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে সাউদিকে ফিরিয়ে দিয়ে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের ২-০।বাংলাওয়াশ এবারও হচ্ছে কি না, সেটি নিশ্চিত হবে ৩ নভেম্বর ফতুল্লায়। তবে তার আগেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।হলিউডের অভিনেত্রী মিলা কুনিসের সঙ্গে আট বছর প্রেমের পর ২০১১ সালে একাকী জীবন বেছে নিয়েছিলেন ‘হোম অ্যালোন’ তারকা ম্যাকলে কালকিন। এরপর মার্কিন অভিনেতা অ্যাশটন কুচারকে নতুন মনের মানুষ নির্বাচন করেন মিলা। কালকিন এতদিন একা থাকলেও সম্প্রতি তাঁর নতুন সঙ্গীর খবর জানিয়েছে কন্ট্যাক্ট মিউজিক। সম্প্রতি চুম্বনরত অবস্থায় অভিনেত্রী জর্ডান লেন প্রাইস ও কালকিন ক্যামেরাবন্দী হওয়ার পর তাঁদের প্রেমের খবর চাউর হয়েছে।জর্ডানের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন কালকিন। সম্প্রতি সেখানে তাঁদের দুজনকে হাত ধরে হাঁটতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহে একসঙ্গে নৈশভোজেও অংশ নেন তাঁরা। সেসময় চুম্বনরত অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী হন নতুন এ জুটি।‘হোম অ্যালোন’ চলচ্চিত্রে তীব্র বুদ্ধিমত্তা আর ধুন্ধুমার সব কাণ্ড ঘটিয়ে বাঘা বাঘা অপরাধীদের নাস্তানাবুদ করে দর্শক হূদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছিলেন কেভিন ম্যাকক্যালিস্টার চরিত্রে রূপদানকারী ম্যাকলে কালকিন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া ব্লকবাস্টার হিট চলচ্চিত্র ‘হোম অ্যালোন’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে মাত্র ১০ বছর বয়সে রাতারাতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তারকায় পরিণত হন কালকিন।দুই বছর বাদে ‘হোম অ্যালোন-২: লস্ট ইন নিউইয়র্ক’ চলচ্চিত্রেও কেভিন চরিত্রে অভিনয় করেন কালকিন।গত বছর দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদকের জালে জড়িয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন হলিউডের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল শিশুশিল্পী তকমা পাওয়া কালকিন। বড়জোর ছয় মাস আয়ু আছে তাঁর। পরে অবশ্য চিকিত্সা নিয়ে মাদকের জাল থেকে বেরিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হন কালকিন।মাদকের সঙ্গে কালকিনের সম্পৃক্ততার খবর প্রথম চাউর হয় ২০০৪ সালে। সেবার ১৭ দশমিক ৩ গ্রাম গাঁজা ও আরও দুই ধরনের মাদকসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। এ জন্য জেলের ঘানিও টানতে হয় তাঁকে। অবশ্য চার হাজার ডলার মুচলেকার বিনিময়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পান তিনি।অভিনয় জগতে মাত্র চার বছর বয়সে যাত্রা শুরু করেছিলেন কালকিন। মঞ্চ দিয়েই যাত্রাটা শুরু হয়েছিল তাঁর। আশির দশকে মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৯০ সালে ‘হোম অ্যালোন’ চলচ্চিত্রটিই তাঁকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলে। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় কালকিন অভিনীত ‘গেটিং ইভেন উইথ ড্যাড’, ‘রিচি রিচ’ ও ‘দ্য পেজমাস্টার’ ছবিগুলো। সেগুলো মাঝারি মাপের সাফল্য অর্জন করে। কালকিন সর্বশেষ ২০১১ সালে নিরীক্ষাধর্মী ‘দ্য রং ফেরারি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পুরো চলচ্চিত্রটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল আইফোনে।১৯৯৮ সালে অভিনেত্রী র্যাচেল মিনারকে বিয়ে করেছিলেন কালকিন। কিন্তু বছর দুয়েকের মাথায় তাঁরা আলাদাভাবে বসবাস শুরু করেন। ২০০২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী মিলা কুনিসের সঙ্গে অভিসার শুরু করেন কালকিন। বেশ কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ২০১১ সালে সম্পর্কের ইতি টানেন তাঁরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ২০১৪ সালের কার্যকর পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী-বাম সমর্থক শিক্ষকদের নীল দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে মোট ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নয়টি পদেই জয়ী হয়েছে তারা।নির্বাচনে নীল দলের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সাদা দল ছয়টি পদে বিজয়ী হয়েছে। সমিতির গত নির্বাচনে নীল দল আটটি পদে এবং সাদা দল সাতটি পদে নির্বাচিত হয়েছিল।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। মোট এক হাজার ৭৭৯ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩৮৮ জন ভোট প্রয়োগ করেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নির্বাচন পরিচালক অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক শাহ ফলাফল ঘোষণা করেন।সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদউদ্দীন আহমেদ ৬২৯ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে দ্বিতীয় মেয়াদে এবং দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ৭১৮ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন।নীল দলের বিজয়ী অন্য শিক্ষকেরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক পদে ক্রিমিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান (৬২২ ভোট), কোষাধ্যক্ষ পদে ব্যবসায়ে শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম (৭০৬ ভোট), সদস্য পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাত (৬৭১ ভোট), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান (৭৫১ ভোট), অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী (৬৫৭ ভোট), রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ (৭০৫ ভোট) এবং অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান (৬২৩ ভোট)।সাদা দলের বিজয়ী শিক্ষকেরা হলেন সহসভাপতি মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মো. আখতার হোসেন খান (৬৮১ ভোট), সদস্য পদে কলা অনুষদের ডিন সদরুল আমিন ইংরেজি (৭২৭ ভোট), পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক লুত্ফর রহমান (৭৭৬ ভোট), প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক লায়লা নূর ইসলাম (৬৪৫ ভোট), ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক আবুল হাসনাত (৭০৫ ভোট), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম (৬৮৬ ভোট)। |
রাজশাহীতে শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন একজন মা। মা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শিশুটি পরে মারা যায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের রেলক্রসিংয়ে আজ সোমবার দুপুরে এ আত্মহননের ঘটনা ঘটে।নিহত মায়ের নাম শামীমা আক্তার ওরফে কাকলী (২৪)। তাঁর মেয়ের নাম নাওমী (১৯ মাস)।শামীমার স্বামীর নাম মুনসুর আলী। তিন বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। নাওমী তাঁদের একমাত্র সন্তান। তাঁদের বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই থানায়। তাঁরা রাজশাহী নগরের ভদ্রা এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় থাকতেন। মুনসুর সিঙ্গার কোম্পানির রাজশাহী সাহেববাজার শাখায় বিক্রয় সহকারী।রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা একটার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় বোরকা পরা শামীমা বাচ্চা কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রেন কাছাকাছি এলে তিনি সামনে ঝাঁপ দেন। এতে মা শামীমা সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। স্থানীয় লোকজন মেয়ে নাওমীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সে-ও মারা যায়।রাজশাহী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, খবর পেয়ে শামীমার স্বামী মুনসুর দুর্ঘটনাস্থলে যান। এর আগে সকালে একসঙ্গে নাশতা করে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যান মুনসুর।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। এ ছাড়াও আগামী জানুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনার অধীনে অবশ্যই নির্বাচনে আসতে হবে বলেও তাঁরা মনে করছেন।আজ বৃহস্পতিবার নগরের লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজক ছিল।সমাবেশে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে খালেদা জিয়ার কথোপকথন শুনে বোঝা গেছে তাঁর সঙ্গে আপস সম্ভব নয়। হরতাল নৈরাজ্য করে বিরোধী দল কখনোই দাবি আদায় করতে পারবে না।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকার গঠন করে আগামী জানুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে এবং খালেদা জিয়াকে শেখ হাসিনার অধীনে অবশ্যই নির্বাচনে আসতে হবে।সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের চট্টগ্রামবাসীর দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনে ব্যক্তি নয়, প্রতীককে ভোট দেবেন সবাই। আওয়ামী লীগ যাকেই মনোনয়ন দেবে, নগরের চারটি আসনে তাঁকেই জয়ী করতে হবে।’বিরোধী দলের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগ নীরব থাকবে না উল্লেখ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা মিটিং মিছিল করেন, কিন্তু আঘাত দেবেন না। এর কাউন্টার দেয়ার শক্তি আমাদের আছে।’ বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘বিরোধী দলের খামখেয়ালিতে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। স্বাধীন দেশে তারা খুন করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। খুনের বিচার হবে। ৭১-এ যারা খুন করেছে, তাদের বিচারও হচ্ছে।’সমাবেশে বক্তব্যে সাংসদ মইনুদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘তিন দিনের হরতালে হত্যার দায়ে আজ হোক, কাল হোক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আন্দোলনের নামে যাঁরা গলাবাজি করছেন, এ চট্টগ্রামের মাটিতেই তাঁদের কবর রচনা করা হবে।’নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেমউদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।হানসি ক্রনিয়ে, ক্রিকেটের বড় ট্রাজেডি নাকি মস্ত বড় খলনায়ক? ১৩ বছর আগের সেই ঘটনা এলোমেলো করে দিয়েছিল মাঠ ও মাঠের বাইরের শুদ্ধতার প্রতীক হানসি ক্রনিয়ের জীবনটাকে। কেবল তাঁকে কেন, পুরো ক্রিকেটকেও কি আলোড়িত করেনি? চোখ কচলে, কানা খাড়া করে বারবার শুনতে হচ্ছিল—ঘটনা সত্য তো? ঘটনা শতভাগ সত্যই ছিল। কেননা, টেলিফোনে আড়ি পেতে রেকর্ড করা বুকিদের সঙ্গে ক্রনিয়ের কথোপকথন ততক্ষণে বাজারে ছেড়ে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।ক্রনিয়ের সেই মর্মন্তুদ ঘটনা স্মৃতির কবর থেকে আবারও বের করলেন তাঁর দীর্ঘদিনের সতীর্থ মার্ক বাউচার। আত্মজীবনী ‘বুচ থ্রু মাই আইজ’ বইয়ে খোলাসা করেছেন ক্রনিয়ের ম্যাচ পাতানোর ঘটনা। বলেছেন, ‘সব সময় সন্দেহ হতো ক্রনিয়ে ম্যাচ পাতানোয় জড়িত ছিল। হাতেনাতে ধরা পড়েছিল এবং সে দোষী ছিল। আজীবন নিষিদ্ধের জন্য নিজেই দায়ী।’বাড়িতে চুরি হলে তবেই গেরস্ত সতর্ক হয়। ক্রনিয়ে ক্রিকেটকে কলুষিত করলেও ক্রিকেট-বিশ্বকে বড় একটা ঘাই মেরেছিলেন বটে। সবাইকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছিলেন। বুচারও তাই মনে করেন, ‘ভবিষ্যতে ক্রিকেট ম্যাচ পাতানোর হুমকি প্রতিরোধে কার্যকর প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে তাঁর শাস্তি।’স্মৃতিমেদুর বুচার নিজের বইয়ে জানিয়েছেন, ক্রনিয়ে একবার প্রেটোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বৃষ্টিবিঘ্নিত এক টেস্টে শূন্য রানেই ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন। ফলে, শেষ দিনে ইংল্যান্ডে প্রয়োজনীয় রান তুলে ম্যাচটা জিতে নিয়েছিল দুই উইকেটে। এতে বেজায় চটেছিল সতীর্থরা। বুচার সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দিয়ে বলছেন, ‘সত্যি বলছি, এটি ছিল এক ভয়ংকর ভাবনা। ক্যালিসেরও ধারণা এটি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত, ক্লুজনারেরও তা-ই। ড্রেসিংরুমে জুনিয়রদের ভাবনায় ছিল, এ ম্যাচ কখনোই হাতছাড়া হতে পারে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আপনি নিশ্চয় প্রতিপক্ষকে জেতার সুযোগ করে দেবেন না। ফলে রাগের যথেষ্ট কারণ ছিল।’ক্রনিয়ের ম্যাচ পাতানোর ঘটনা যখন চাউর হলো, বাউচার ডারবানের এক হোটেলে পুরো দলকে ডেকেছিলেন। বলেছিলেন, এসব ডাহা মিথ্যা। কিন্তু ওই দিনই সন্ধ্যায় দলের ম্যানেজার গুলাম রাজার ফোন পেয়েছিলেন বাউচার। ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, সবকিছু স্বীকার করে ক্রনিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।মানুষকে যুগে যুগে বাঁচিয়ে রাখে তাঁর কর্ম। এ ‘কর্ম’ কাউকে করে সুখ্যাত, কাউকে আবার কুখ্যাত। ক্রনিয়ের কপালে জুটেছে দ্বিতীয়টি। এ কারণেই বোধ হয় ২০০২ সালের জুনে কার্গো বিমান দুর্ঘটনায় জীবননদীর ওপারে চলে যাওয়ার পরও নিস্তার নেই তাঁর। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বারবার বের করা হয় তাঁর দুষ্কর্মের খতিয়ান।প্রথম দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ড ২০১৪ সালের নববর্ষ উদযাপন করল। ‘ডেইলি মিরর’ জানিয়েছে, অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ারে বর্ণিল আতশবাজির মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।অকল্যান্ডবাসী রাস্তায় নেচে-গেয়ে এবং বর্ণিল আতশবাজি প্রত্যক্ষ করে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। এই সময় সমস্বরে তারা ‘শুভ নববর্ষ’ বলে একে অপরকে শুভ কামনা জানায়। প্রত্যক বছর অকল্যান্ডের স্কাই সিটি ক্যাসিনো নববর্ষের প্রথম ক্ষণটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করে থাকে।এদিকে দুবাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখাতে যাচ্ছে। ডেইলি মিরর জানিয়েছে, দুবাইয়ে ৫৯ কিলোমিটার এলাকার ৪০০ ভিন্ন জায়গায় থেকে চার লাখ ৫০ হাজারের বেশি আতশবাজি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শতাধিক কম্পিউটারের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করা হবে। |
রাজধানীর মহাখালীতে ৪৫ মিনিট ধরে আটকে আছে বাসটি। ভিড়ের বাসে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। রাজধানীর বনানী থেকে বাসটিতে উঠেছেন তিনি। গন্তব্য বারডেম হাসপাতাল। সেখানে তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের অস্ত্রোপচার চলছে। কিন্তু তিনি আটকে আছেন মহাখালীতেই। উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায় বাসের ভিড়ে ঘামতে ঘামতে নজরুল ইসলাম একপর্যায়ে এত যানজটের কারণ জানতে চান পাশের যাত্রীদের কাছে। জানতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরেছেন। তাই বিকেল পাঁচটার পর জাহাঙ্গীর গেট থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ। জানতে পেরে বাস থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালের দিকে রওনা দেন তিনি। নজরুল একা নন। তীব্র যানজট দেখে অনেকেই মহাখালী থেকে হাঁটছিলেন নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে। প্রত্যেকের চোখেমুখে একরাশ বিরক্তি। ক্ষুব্ধ নজরুল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আজকের আগমনে মানুষের যে দুর্ভোগ হয়েছে, তাতে ওনার পাঁচ লাখ ভোট কমবে।’কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জাহাঙ্গীর গেট-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দিতে। তাই নির্দেশমতো বিকেল পাঁচটার পর এই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী সাড়ে পাঁচটায় বিমানবন্দরে নামলেও পাঁচটায় কেন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হলো, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।রাজধানীর শাহবাগ-ফার্মগেট-বিজয় সরণি সড়কে যানজট ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ বিজয় সরণি-জাহাঙ্গীর গেট এলাকার রাস্তার দুই ধারে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে অবস্থান নেন। ওই সড়কে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপচে পড়া ভিড় থাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে মিরপুর-গাবতলী, মহাখালী-মগবাজার, মহাখালী-গুলশান এলাকায়। এসব রাস্তায় ঘণ্টার ঘণ্টা থেমে ছিল গণপরিবহন। আর থেমে থাকা গাড়িতে ক্লান্ত লোকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন অসহায়ভাবে।বিকেল চারটার দিকে গুলিস্তান-আবদুল্লাহপুরগামী ৩ নম্বর বাসে ওঠেন বাবর আহমেদ। সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি ফার্মগেটে পৌঁছান। প্রথম আলো ডটকমকে তিনি বলেন, ‘ভিআইপি এলে অবশ্যই তাঁর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা উচিত। ভিআইপির নিরাপত্তার অজুহাতে এভাবে রাস্তা বন্ধ করা ঠিক নয়।’বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শিরিন আখতার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমার বাসায় ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে। মহাখালী যাব বলে বিকেল চারটায় পল্টন থেকে বাসে উঠেছি। অথচ বাস এগোচ্ছে শামুকের গতিতে।’বাসটির চালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ভাই, যানজট কমানোর একটাই উপায়, সেইটা হলো ভিআইপিদের হেলিকপ্টারে কইর্যা যাইতে হবে।’রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘খিলক্ষেতে যাব। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটি বাস পেয়েছি। কিন্তু বাসটি একটুও এগোচ্ছে না। কাল পরীক্ষা। কী যে করি!’দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য সম্মানজনক ‘সাউথ সাউথ’ পুরস্কার লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিশিষ্ট নাগরিকেরা বিকেলে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধানের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন বা সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা ছাড়া কোনো ইলেকশন হবে না।’ খবর বাসসের।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাসিম এসব কথা বলেন।জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার ও নাজমুল হক প্রধান, উপদেষ্টা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।সভায় ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি আন্দোলনের ট্রেন ফেল করেছে। নির্বাচনে না এলে তারা নির্বাচনের ট্রেনও ফেল করবে।নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একবার ডাক দিয়েছি। বারবার ডাক দেওয়া সম্ভব নয়। সংলাপ আমরাও চাই। তবে এখন সংলাপ চাইলে বিরোধী দলকেই আহ্বান জানাতে হবে। এ নিয়ে কোনো হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ হবে না।’সভায় হাসানুল হক ইনু বলেন, চক্রান্তকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত একসঙ্গে জোট বেঁধে যুদ্ধাপরাধী, তেঁতুল হুজুরদের পক্ষ নিয়েছে। তাদের এই সাম্প্রদায়িক জোট বাংলাদেশের জন্য হুমকি। তাই তাদের মোকাবিলা করা দরকার। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, চিটফান্ডের (স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প) টাকায় তৃণমূল চলবে না। দরকার হলে ভিক্ষার টাকায় দল চালানো হবে ।আজ শুক্রবার বিকেলে কলকাতার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের এক বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন মমতা। এ সময় তিনি বলেন, চাঁদাবাজিও বরদাশত করবে না দল। দল চালাতে হলে কর্মীদের টাকায় চালানো হবে। মমতা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘বেশি করে মানুষের কাছে যান। সিপিএমবিরোধী প্রচারে নামুন। দেয়ালে লিখুন ‘‘সিপিএম মানেই বাংলার সর্বনাশ’’।’ এ সময় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল একাই লড়বে বলে ঘোষণা দেন মমতা।বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে ‘অবরুদ্ধ করে রাখার’ প্রতিবাদে বগুড়ায় কাল বুধবার সকাল ছয়টা থেকে পরশু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট।আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বগুড়া শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে হরতালের ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।জোটের পক্ষ থেকে হরতালের ঘোষণা দেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করা না হলে বগুড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার হরতালের ডাক দেওয়া হবে বলেও জোটের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়ে।এর আগে জেলা ১৮-দলীয় জোটের এক জরুরি সভা থেকে হরতাল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ‘প্রথম আলো’কে জানিয়েছেন।শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে অনুষ্ঠিত জেলা ১৮-দলীয় জোটের ওই সমাবেশে বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।জয়নাল আবেদীন জানান, বিরোধীদলীয় নেতা গণতন্ত্র রক্ষায় পতাকা হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ঢাকায় ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি দিয়েছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার সেই কর্মসূচিতে ভীত হয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকে তাঁর বাসভবনে অবরুদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি। পুলিশ দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে। দলীয় পেটোয়া বাহিনী দিয়ে হাইকোর্ট ও প্রেসক্লাবের মতো জায়গায় নির্লজ্জ হামলা চালিয়ে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। বগুড়াবাসী বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি সরকারের এই ফ্যাসিস্ট আচরণ মেনে নেবে না।জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতাকে অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদে আপাতত ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলবে। এরপরও সরকারের বোধোদয় না হলে বৃহস্পতিবারের পর বগুড়ায় অনির্দিষ্টকালের হরতাল দেওয়া হবে।’এদিকে বিরোধীদলীয় নেতাকে অবরুদ্ধ ও হাইকোর্টে হামলার প্রতিবাদে বগুড়ার আদালত বর্জন করে জেলা জজ আদালত চত্বরে আজ সকাল থেকেই সমাবেশ করেন বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা বক্তব্য দেন। |
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দভাগ রেলস্টেশনে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, নোয়াখালী-ঢাকা, নোয়াখালী-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা রেলস্টেশনে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিল্লা রেলস্টেশনে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজাপুর রেলস্টেশনে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেস আখাউড়া রেলজংশনে আটকা আছে। এতে করে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। রেলওয়ের কুমিল্লা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল হক প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আখাউড়া রেল জংশন থেকে একটি উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন লাইনচ্যুত বগি সরিয়ে নেয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গণভবনে যাবেন না। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে, শেখ হাসিনাকেই পায়ে হেঁটে খালেদা জিয়ার কাছে যেতে হবে।আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের কাজীর দেউরি মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমির ও সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতার উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। জনগণের এ বিক্ষোভ আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। তিনি একতরফাভাবে নির্বাচনের চেষ্টা করছেন। বাংলার জনগণ নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন মানবে না।মীর নাছির বলেন, রাতের খাবার খাওয়ার জন্য খালেদা জিয়া গণভবনে যাবেন না। তিনি ‘ডিনারের’ নেত্রী নন। খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী।সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণের মনের কথা বলেছেন খালেদা জিয়া। এ সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন জোরদার করা ছাড়া উপায় নেই।সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এম নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপির সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, নগর জামায়াত নেতা আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, নগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন প্রমুখ।চলতি সপ্তাহে টানা তিন দিনের হরতালে নিহত লোকজনের গায়েবানা জানাজা কাল শুক্রবার জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।জন্ম তাঁর ছেলে হিসেবে, তবে তিনি এ বিয়ের কনে। আর বর যিনি, জন্মগতভাবে তিনি মেয়ে। বর্তমানে তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বাও! আর্জেন্টিনায় গত শুক্রবার এমনই বিচিত্র এক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। সে দেশে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনো বরের বিয়ে করার ঘটনা এটাই প্রথম। লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ২০১০ সালে সমলিঙ্গের বিয়ে অনুমোদন করে আর্জেন্টিনা। এর দুই বছর পর দেশটি একটি আইন পাস করে, যাতে করে লিঙ্গ পরিবর্তনকারীরা জাতীয় পরিচয়পত্রে পছন্দমতো লিঙ্গের পরিচয় উল্লেখ করতে পারে।এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, শুক্রবারের আজব বিয়ের বর আলেক্সিস টাবরোডা (২৬) ও কনে কারেন ব্রুসেলারিও (২৮) দুজনই সমলিঙ্গ বিয়ের অধিকার আন্দোলনের কর্মী। তাঁদের বাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভিক্টোরিয়া শহরে হলেও পরিচয় রাজধানী বুয়েনস এইরেসে আন্দোলন করতে গিয়ে। নতুন এ ঘটনাকে তাঁরা দেখছেন আন্দোলনের পথে আরেকটি বিরাট পদক্ষেপ হিসেবে।টাবরোডা বলেন, ‘এটা খুবই আবেগময় দিন, সত্যি বিশেষ একটি দিন। কেননা, আজ আমাদের একটি স্বপ্ন সত্যি হলো। আমরা আইনগতভাবে বিয়ে করতে পারলাম।’ টাবরোডা ও ব্রুলোরিও জানান, একটি ক্যাথলিক গির্জায় গিয়ে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল তাঁদের। এ জন্য তাঁরা আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণকারী পোপ ফ্রান্সিসকে একটি ই-মেইল বার্তাও পাঠিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেটির কোনো জবাব আসেনি। টাবরোডা ও ব্রুলোরিওর দাবি, আর্জেন্টিনায় তাঁরাই প্রথম বিবাহিত যুগল, যাঁরা অস্ত্রোপচার না করেই লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন।অন্তঃসত্ত্বা টাবরোডা আগামী ২২ ডিসেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি মেয়েসন্তান জন্ম দেবেন। তবে মাতৃত্বের সহজাত প্রবৃত্তি অনুভব করেন না বলে স্বীকার করেছেন তিনি। অনাগত সন্তানের নাম জেনেসিস অ্যাঞ্জেলিনা রাখতে চান এই দম্পতি।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে মামলায় আসামি করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী নাসরিন খান এবং ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানকে।তাঁরা তিন কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ মার্কিন ডলার এবং এক কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩ হংকং ডলার মিলিয়ে মোট ৩২১ কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা পাচার করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহার অনুযায়ী, মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট টেলিকম লিমিটেডের মাধ্যমে মোট ১১টি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট ৩২১ কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। এম মোরশেদ খান বিএনপি সরকারের আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এসব অর্থ পাচার করেন। দুদক বিভিন্ন ব্যাংকে ফারইস্ট টেলিকমের নামে চারটি এফডি হিসাব, একটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড হিসাব, একটি ইউএসডি কারেন্ট হিসাব ও একটি ইউএসডি সেভিংস হিসাব খুঁজে পায়। এ ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এম মোরশেদ খানের নামে একটি ইউএসডি সেভিংস ও একটি হংকং ডলার সেভিংস হিসাব এবং ওই ব্যাংকেই ছেলে ফয়সালের নামে একটি ইউএসডি সেভিংস ও একটি হংকং ডলার সেভিংস হিসেবে এসব অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে। |
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে কয়েকটি জনাকীর্ণ শিয়া এলাকায় লাগাতার বোমা হামলায় আজ সোমবার কমপক্ষে ৪২ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে।পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সদর সিটি নামের ওই এলাকায় যেখানে স্থানীয় শ্রমিকেরা সমবেত হয়েছিলেন, সেখানে আজ সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুজন সেনাসহ অন্তত সাতজন প্রাণ হারান।ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন শ্রমিক আবু মোহাম্মদ বলেন, ঘটনাস্থলে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি এসে দাঁড়ায়। এতে লোকজন গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার কথা বললে চালক জানান, তিনি শিগগিরই গাড়িটি সরিয়ে ফেলবেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার কয়েক মিনিট বাদে গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়।ওই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে বাগদাদের আরও ১৪টি স্থানে গাড়িবোমা বিস্ফোরিত হয়। কারা এসব হামলা চালিয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শিয়াদের ওপর এমন হামলার পেছনে সুন্নিদের হাত আছে। সুন্নিরা শিয়াদের অবিশ্বাসী বলে মনে করে। গত কয়েক বছরে সুন্নিরা শিয়াদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পরিমাণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।গতকাল রোববার দেশটির কয়েক স্থানে বোমা হামলায় অন্তত ৪০ জন ও গত শুক্রবার বাগদাদের দুটি সুন্নি মসজিদে বোমা হামলায় ছয়জন প্রাণ হারায়।সিরিয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার সব রাসায়নিক অস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করেছে।এক রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স আজ বৃহস্পতিবার বলেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্র উত্পাদনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিনষ্ট করে উচ্চাভিলাষী নিরস্ত্রীকরণ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে।রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (ওপিসিডব্লিউ) জানিয়েছে, তার পরিদর্শকেরা সিরিয়ার ২৩টি রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডারের ২১টি পরিদর্শন করেছেন। বাকি দুটি অস্ত্রাগার বিপজ্জনক স্থানে অবস্থিত বলে সেগুলোতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সেগুলো থেকেও অস্ত্র যে ধ্বংস করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হয়েছেন পরিদর্শকেরা।পরবর্তী নির্ধারিত তারিখ হলো ১৫ নভেম্বর। ওপিসিডব্লিউ জানায়, এ সময়ের মধ্যে সিরিয়াকে এক হাজার মেট্রিক টনের মতো বিষাক্ত পদার্থ ও প্রভাবক ধ্বংস করতে হবে। এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের আকাশে চীনের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল ঘোষণা নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। কয়েক দশক ধরে এ এলাকায় মার্কিন আধিপত্য ছিল প্রশ্নাতীত।চীনের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা বহু বছর ধরে জানিয়ে আসছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কারণে তাঁরা অস্বস্তিতে ভোগেন। দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপ পারসেল ও স্কারবোরও এবং পূর্ব চীন সাগরের জাপানশাসিত দ্বীপগুলোতে চীনের নৌবাহিনীর শক্তিপ্রয়োগ তাই যুক্তরাষ্ট্রকে শঙ্কিত করে তুলছে।এই সম্পর্কে রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শি ইয়নহংয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বাণিজ্য ও কূটনীতিক ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের কাছে চীনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের ‘কৌশলগত অবস্থানকে’ স্বীকার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাঁর মিত্ররা কীভাবে চীনকে গ্রহণ করছে, সেটির ওপর নির্ভর করে এ অঞ্চলের ভবিষ্যত্ চীনের উদয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।ওয়াশিংটন এ অবস্থায় গোপন কূটনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। গত সপ্তাহের চীনের ঘোষণার পর দেশটির সবচেয়ে কাছের মার্কিন ভূখণ্ড গুয়াম থেকে দুটি বি-৫২ যুদ্ধবিমান আকস্মিকভাবে উড়িয়ে, চীনকে জবাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এতে পুরো বিষয়টিতে আরও জটিল হয়ে উঠেছে।কাউকে তোয়াক্কা না করে, নিজের ক্ষমতা দেখাতে বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল ঘোষণা করে জাপানের সঙ্গে ছোটখাটো কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে চলমান কলহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে চীন।যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী সপ্তাহের চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর সফরের সময়ও এ উত্তেজনা জারি থাকবে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার কাছে ২ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২০৩ রান। ৪৮.১ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কান যুবারা।গত ম্যাচের মতো এদিনও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট হেসে ওঠে। শান্ত তুলে নেন টুর্নামেন্টে তাঁর টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক। তিনি করেন ৬২। এ ছাড়া মোসাদ্দেক হোসেনের ৩২ ও ইয়াসির আলীর ৩৩ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে করে ২০৩। উইকেট হাতে থাকতেও কেন এমন মন্থর গতিতে রান উঠল, সে এক প্রশ্ন বটে। বাংলাদেশ ওভার প্রতি তুলেছে ৪.০৬ রান করে।স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না হতেই শ্রীলঙ্কার ওপেনার সামারাবিক্রামাকে বোল্ড করেন আবু হায়দার। ২৫ রানের মাথায় আরেক ওপেনার ডুমেন্ডুকে রান আউট করে সাজঘরের রাস্তা ধরান জাকির হাসান। এরপরেই উইকেটে দাঁড়িয়ে যান লঙ্কান অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক কুসাল মেন্ডিস ও পেরেরা।মূলত এ দুই লঙ্কান তরুণের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। মেন্ডিস তুলে নেন অসাধারণ এক শতক। ১০০ রান করা মেন্ডিসকে যখন নিহাদুজ্জামান ফেরান, তখনোও কিছুটা সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার তখন দরকার ৩৭ বলে ১৬, হাতে উইকেট ৩টি। ১৯৮ রানে ৮ উইকেট যাওয়ার পরও বাংলাদেশের আশায় বসতি। অবশ্য তখনো গলার কাটা হয়ে বিঁধে ছিল পেরেরা। ৬২ রানে অপরাজিত থেকে ৪৮.১ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নকে কবর দিয়ে দুই উইকেটের জয় তুলে তবেই সাজঘরে ফেরেন পেরেরা।প্রথম দুই ম্যাচ জিতেও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে। |
রাজধানীর কলাবাগান ও পল্টন এলাকা থেকে শতাধিক ছিনতাই করা ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল। একই সঙ্গে এসব ছিনতাইয়ের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।তাঁদের কাছ থেকে ৩৮টি ল্যাপটপ, তিনটি ট্যাব, ১২৪টি মুঠোফোন, চারটি ক্যামেরা, একটি মোটরসাইকেল, নগদ ৫৭ হাজার টাকা ও তিনটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে র্যাব-২-এর কার্যালয়ে এসব মালামালসহ ওই চারজনকে নেওয়া হয়।সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনিসুর রহমান বলেন, তাঁদের কাছে অভিযোগ ছিল, ওই চক্র রাজধানীর আইডিবি ভবন, শ্যামলী ও সংসদ ভবন এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাই করত। র্যাব-২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খানের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইস্টার্ন প্লাজার সামনে থেকে প্রথমে মোটরসাইকেলসহ আসিফ আজাদ (২৩) ও সাইফুল ইসলাম জনিকে (২৩) আটক করে র্যাব-২। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ইয়েসটেল ও ভাসানী স্টেডিয়ামের নিউ হাবিব ইলেকট্রনিকস, শাহিনুর ইলেকট্রনিকস ও সুমা ইলেকট্রনিকস নামের দোকানগুলোর গোডাউন থেকে ল্যাপটপ, ট্যাব ও ক্যামেরাগুলো উদ্ধার করা হয়। এসব রাখার অভিযোগে মনির হোসেন (৩৫) নামের একজনকেও আটক করে র্যাব।এদিকে মোহাম্মদপুরে মিরপুর রোডের আদিল প্লাজার ভবন থেকে ৩৫ হাজার টাকার জাল নোট ও একটি ব্যক্তিগত গাড়িসহ একজনকে আটক করে র্যাব-২-এর অন্য একটি দল। তাঁর নাম ইফতেখার কদর (৩০)।ইফতেখারের ব্যাপারে র্যাব-২-এর কমান্ডিং অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, ইফতেখারসহ একটি চক্র গাড়ি ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল টাকা দিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনত। এ ছাড়া অনলাইনে সেলবাজার ডটকম থেকে জাল টাকা দিয়ে জিনিসপত্র কিনত। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ইফতেখারকে আজ বেলা ১১টার দিকে আটক করা হয়।জার্মানির অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউরোপীয় দেশটির রপ্তানিনির্ভর প্রবৃদ্ধি মডেল ইউরোঞ্চল ও বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের ষাণ্মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানিতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি খুবই হতাশাজনক।প্রতিবেদনে চীনের ‘অত্যল্প মুদ্রামান’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো দৃষ্টিভঙ্গির এবারও অপরিবর্তিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বহুবার চীনা অর্থনীতির সমালোচনা করলেও জার্মানির অর্থনীতির সমালোচনা বিরল।মার্কিন রাজস্ব বিভাগ বলছে, ‘ইউরোঞ্চলের দেশগুলো যখন চাহিদা ও আমদানি হ্রাসের তীব্র চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন জার্মানির রক্তস্বল্পতার মতো ফ্যাকাশে (হতাশাজনক) অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি ও রপ্তানিনির্ভরতা দেশগুলোর অর্থনৈতিক ভারসাম্য নিশ্চিতের বিষয়টিকে বাধাগ্রস্ত করছে। ... ইউরোঞ্চল ও বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এটা (জার্মানির নীতি) সার্বিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত দিকে ধাবিত হচ্ছে।’ বিদঘুটেইউরোঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতি এখন জার্মানির। গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জার্মানির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ও ইতিবাচক।১৭-রাষ্ট্রের জোট ইউরোতে জার্মানি বাদে বাকি দেশগুলোর ঋণসংকট প্রবল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির গুরুত্ব বেড়েছে। ওই সংকটে ইতালি ও স্পেনের মতো দেশগুলো ভীষণ চাপের মধ্যে পড়ে।ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর অন্যতম জার্মানি। রপ্তানি সক্ষমতাকে দেশটির সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এ বছরের শুরুতে দেশটি অর্থনৈতিক মন্দার মুখে গিয়েও ফিরে এসেছে। ২০১৩ সালে দেশটিতে ভোক্তা ও উত্পাদক উভয়ের চাহিদাই বেড়েছে।বিশ্লেষকেরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ালে জার্মানিরই সুবিধা হবে। তাই দেশটির যেসব সমালোচনা করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএসের সহসভাপতি টনি ন্যাশ বিবিসিকে বলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাপারটা বিদঘুটে। ইউরোঞ্চলের (উন্নতি দেখাতে হলে বা অবনতি হচ্ছে না এটা দেখাতে হলে) কোনো না কোনো দেশে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এটা নিশ্চিত হতে হবে (তবে অন্তত ভারসাম্য রক্ষিত হবে) এবং এজন্য জার্মানিই সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান।’ন্যাশ আরও বলেন, ‘পুরো ইউরোঞ্চলের জন্য বৃহত্ উন্নতির কর্মকাণ্ড থাকার বদলে এ মুহূর্তে জার্মানিতে খুবই কেন্দ্রীভূত, সচল ও দক্ষ রপ্তানির কার্যক্রম থাকা মঙ্গলজনক।’শেরপুরে দুই হাত পেতে নৌকায় ভোট চেয়েছেন সর্বদলীয় সরকারের কৃষি, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। আজ শনিবার বিকেলে শেরপুরের নকলার হলপট্টি মোড়ে ‘প্রজন্ম ৭১’ আয়োজিত এক পথসভায় তিনি আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।পথসভায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মতিয়া বলেন, ‘এবারের নির্বাচন মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের নির্বাচন। এই নির্বাচন জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের নির্বাচন। মজলুমের পক্ষে আছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই দুহাত পেতে আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।’মতিয়া চৌধুরী বিএনপিকে ধ্বংস ও মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না। কিন্তু ক্ষমতায় যেতে চায়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া পৃথিবীর কোথাও সরকার গঠন হয় না। গণতন্ত্র কী, আওয়ামী লীগ তা বোঝে। তাই আওয়ামী লীগ নির্বাচন ভিন্ন অন্য কোনো পন্থায় ক্ষমতায় যাওয়ার কথা চিন্তাও করে না।মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর আজ শনিবার বিকেলে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যান। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান।দলমত-নির্বিশেষে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন, ভোটের অধিকার রক্ষায় এই আন্দোলন আরও বেগবান করে বিজয়ের পথে নিয়ে যেতে হবে।বিবৃতিতে ফখরুল বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষে আগামীকাল ১ জানুয়ারি বুধবার সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশকে রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য, মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।’উল্লেখ্য, এর আগে পাঁচ দফা অবরোধ ডাকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। সর্বশেষ ২৯ ডিসেম্বর বিরোধী দল গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ঘোষণা করে। ফখরুল বলেন ১৮ দলের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে সরকার নজিরবিহীন বাধা দিয়েছে। সমাবেশ অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। তিন দিন ধরে সারা দেশে সরকার অবরোধ আরোপ করে সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকা মহানগরে সব গণপরিবহন বন্ধ করেছিল। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, চেয়ারপারসনের কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ করে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন, ১৮ দলের নেত্রী, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর বাসভবনে বেশ কয়েক দিন ধরে আটক রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে তাঁকে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। পাঁচটি বালুর ট্রাক, অসংখ্য পুলিশ, র্যাব দিয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, বিরোধী দলের ডাকা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা চলার সময় নয়াপল্টন ছিল নেতাশূন্য। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়, গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয় বা গুলশান ২ নম্বরে খালেদা জিয়ার বাসভবনে আসতে দেখা যায়নি। তবে প্রতিদিনই তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি পাঠিয়েছেন। |
পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার চিড়িয়াখানায় বাঘ-বাঘিনীর জন্য এবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছে নতুন একটি আবাসন। তাতে গুহা তো থাকছেই, আরও রয়েছে বিশ্রামের জন্য গাছপালার ছায়া। থাকছে গরমে গা ভেজানোর জন্য কৃত্রিম ঝরনা। আছে সুইমিং পুল। বাঘের জন্য এই নতুন আবাস তৈরি করা হয়েছে বিদেশের একটি চিড়িয়াখানার ধাঁচে। গোটা আবাসন এলাকা ঢেকে দেওয়া হয়েছে কাচের দেয়াল দিয়ে। দর্শক কাচের মধ্য দিয়েই দেখতে পারবে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এই আবাসন এলাকায় থাকছে পাঁচটি গুহা। একদিকে ঝরনা আর অন্যদিকে সুইমিং পুল। তৈরি করা হয়েছে নদীর মতো আঁকাবাঁকা একটি ক্যানেলও। আরও থাকছে জঙ্গল।প্রায় ৬০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি গ্রাসে সহযোগিতার অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবসহ পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।২০০৮ সালে ওই ঘটনার সময় সহকারী সচিব জসীমউদ্দিন হায়দার সাভার ভূমি জরিপ কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ছিলেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক উপসহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) আজগর আলী, আশুলিয়া ভূমি কার্যালয়ের সাবেক উপসহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) শৈলেশ চন্দ্র দাস এবং দুই জমি গ্রহীতা আবদুল কাদের ও আলী আমজাদ।আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভার থানায় ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান। বিষয়টি প্রথম আলো ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ওই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আবদুল কাদের ও আলী আমজাদের নামে অন্যায়ভাবে জমি নিবন্ধন করে দেওয়ার অভিযোগ আছে। এজাহারে আরও বলা হয়, পারস্পরিক যোগসাজশে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে সাভারের বাসাইদ মৌজায় ১০ দশমিক ৪০ একর সরকারি জমি দুই গ্রহীতাকে নিবন্ধন করিয়ে দেন ওই কর্মকর্তারা। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে অ্যাসেন্ড পি৬ মডেলের স্মার্টফোন। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ৬.১৮ মিলিমিটার মাপের স্লিম এই স্মার্টফোনের দাম রাখা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকা।এতে রয়েছে ১.৫ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর কে৩ভি২ই প্রসেসর এবং মেটালিক বডি। রয়েছে ৪.৭ ইঞ্চি হাই ডেফিনেশন ইন সেল ডিসপ্লে, ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা, অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ অপরেটিং সিস্টেম এবং ২০০০ এমএইচ ব্যাটারি। অধিক স্ক্রিন সংবেদনশীলতার জন্য রয়েছে ‘ম্যাজিক টাচ’, যার ফলে হাতে গ্লাভস বা অন্য কোন আবরণ থাকলেও দ্রুত সাড়া পাওয়া যাবে।হুয়াওয়ে কনজিউমার বিজনেস গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রিচার্ড ইউ বলেন, ‘অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড পি৬-এর ইন্ডাস্ট্রি সেরা ডিজাইন, উন্নতমানের ক্যামেরা, হুয়াওয়ের প্রোপাইটরি ইমোশন ইউ আইয়ের কারণে এটি হচ্ছে স্মার্টফোন জগতের স্টার। তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাশন স্মার্টফোনের ওপর নির্মিত আমাদের অ্যাসেন্ড পি সিরিজের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড পি৬ এবার উপহার দিচ্ছে উন্নতমানের প্রযুক্তি এবং ডিজাইন, যা সব মিলিয়ে স্মার্টফোনটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।’হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড পি৬-এর রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেল রেয়ার-ফেসিং বিএসআই ক্যামেরা, ২.০ অ্যাপারেচার ও ৪ সেন্টিমিটার ম্যাক্রো ভিউ যা ১০৮০ পি ফুল এইচডি ভিডিও রেকর্ডিং ও প্লেব্যাক করতে সহায়ক। হুয়াওয়ের ইমেজ-স্মার্ট সফটওয়্যার সমৃদ্ধ হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড পি৬ স্মার্টফোনে রয়েছে কনট্রাস্ট ও কালার এনহাঞ্চমেন্ট, অটোসিন রিকগনিশন, অবজেক্ট ট্রেসিং ফোকাস ও তাত্ক্ষণিক ফেসিয়াল বিউটি সাপোর্ট, যা ব্যবহার করে একজন নিতান্ত শিক্ষানবিশ ফটোগ্রাফার নিজেকে পেশাদার ফটোগ্রাফারে পরিণত করতে পারেন।হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড পি৬ স্মার্টফোনে ইমোশন ইউ আই যুক্ত থাকায় গ্রাহকেরা এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাবেন নতুন মাত্রা। বিশ্বজুড়ে ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের অনুপ্রেরণায় সারা বিশ্বের ৫০ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে হুয়াওয়ে ইমোশন ইউ আইয়ের সর্বশেষ সংস্করণ তৈরি করেছে। প্রোপাইটরি ইউজার ইন্টারফেসের মধ্যে রয়েছে সম্প্রসারিত নিরাপত্তা সুবিধাসহ ইউনি-হোম, হুয়াওয়ের মি উইজেড, ম্যাজিকটাচ ও স্মার্ট রিডিং। হুয়াওয়ের ইমোশন ইউ আইয়ের নবতর উদ্ভাবনার মধ্যে রয়েছে প্যানারমিক শ্যুট ও ফেসিয়াল রিকগনিশন ফটোগ্রাফি ফাংশন অর্থ্যাত্ মডেল চিনে ফটোগ্রাফির কৌশল।হুয়াওয়ের অটোমেটেড ডিসকাউন্টস রিসেপশন [এডিআরএক্স] ও কুইক পাওয়ার কন্ট্রোল [কিউপিসি] ব্যাটারি অপটিমাইজেশন ও পাওয়ার সেভিং প্রযুক্তি, বাজারের অন্য মোবাইলের ব্যাটারির তুলনায় শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত পারফরম্যান্স বা কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দিয়েছে।হুয়াওয়ের এই স্মার্ট ফোন কিউ মোবাইলের রিটেইল শো-রুমে এবং অন্যান্য ফোনের দোকানের পাশাপাশি সিঙ্গার শো-রুমে পাওয়া যাবে।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হুয়াওয়ে টেকনলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেকার জোহ, ডিভাইস বিজনেসের পরিচালক মরগান লিউ, মার্কেটিং ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক সাফায়েত আলম এবং কিউ মোবাইল এর পরিচালক (অপারেশনস) মেজবাহউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে অ্যাসেন্ড পি৬ কালো রঙে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড জি ৬১০ মডেলের স্মার্টফোন ১৪ হাজার ৯৯০ এবং অ্যাসেন্ড ওয়াই ৫১১ মডেলের স্মার্টফোন ৯ হাজার ৪৯০টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা হচ্ছে না। আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে, এ জন্য এই জনসভা হবে না।আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় জনসভায় তিনটির বেশি মাইক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই পূর্বনির্ধারিত ওই জনসভা হবে না।নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি নেই। তবে আমরা চেষ্টা করব জনগণ যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।’ভোটারদের ভয় কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, এর জবাবে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সব রকম চেষ্টা করব। সে জন্য ইসির পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতা, অবরোধ—এগুলো জামায়াত-শিবির করছে। তারা নির্বাচন চায় না। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। জামায়াত-শিবির রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এদের সঙ্গে বিএনপিও আছে, অন্যরাও আছে।’ |
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) রায় ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। রায়ের পর বিএনপি প্রতিক্রিয়া জানাবে।আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ভূমিহীন দলের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মওদুদ। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ।প্রেসক্লাবে আলোচনা অনুষ্ঠানে মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারই সংকট সৃষ্টি করেছে। তাদেরই সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং তাতে বিএনপিও যাবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই আমাদের কথা বলে দিচ্ছেন। তাহলে আমাদের নেতা আছেন কেন। দল আছে কেন।’মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, সংবিধান সংশোধন করে তিনি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবেন। সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।’আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ভূমিহীন দলের সভাপতি কামালউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব এম এ সালাম প্রমুখ।ভারতের টাটা শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আবার বিক্ষোভ শুরু করেছেন কলকাতার রাজারহাটের কৃষকেরা। রাজারহাটের নিউটাউনে টাটার জন্য অধিগৃহীত জমি ফেরত পেতে এ বিক্ষোভ করছেন তাঁরা।এর আগে পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে জমি ফেরত পেতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন স্থানীয় কৃষকেরা।২০০৮ সালে নিউটাউন এলাকায় তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকার টাটার আবাসন নির্মাণের জন্য ২৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে। সে সময় জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা সেখানে গিয়ে জমি কৃষকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু সম্প্রতি মমতার নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের অনুমতিতে ওই জমিতে টাটা আবাসন তৈরির জন্য দেয়াল তৈরির কাজ শুরু করে। এতে জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আবার আন্দোলন শুরু করেন। তাঁরা কিছুতেই ওই জমি টাটার হাতে দেবেন না বলে জানান। আজ বৃহস্পতিবারও রাজারহাটে সমবেত হয়ে টাটার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন কৃষকেরা। তাঁরা মমতার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গেরও অভিযোগ তোলেন।আগের দিনই বিদায় নিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান। তবে মোহামেডান না পারলেও ফেডারেশন কাপে কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরিয়ে গেল আবাহনী। আজ ফেডারেশন কাপের শেষ আটের লড়াইয়ে ফেনী সকারকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ২০১০ সালের শিরোপাজয়ীরা।প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে আবাহনীর পক্ষে প্রথম গোলটি করেন আতিকুর রহমান মিশু। শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে আবাহনীর দ্বিতীয় গোলটি এসেছে ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার মরিসনের পা থেকে।আবাহনী ও মোহামেডান—দুই দলই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ শেখ জামালকে এড়াতে চেয়েছিল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ী হয়েছিল আবাহনীই। মোহামেডানকেই খেলতে হয়েছে শেখ জামালের বিপক্ষে। গতকাল ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে মোহামেডানকে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে এড়াতে পারলেও সেমিফাইনালে এই শেখ জামালেরই মুখোমুখি হতে হবে আবাহনীকে।চেহারায় রাজ্যের ক্লান্তির ছাপ। মনে হচ্ছে জেটল্যাগ ভালোভাবে কাটেনি। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে এসেছেন মতিঝিল মোহামেডান ক্লাবে। লিসবন-তুর্কি হয়ে ঢাকায় আসতে ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে দুই দিন। ইউসেবিও, লুই ফিগো ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের দেশের কোচ রুই হোসে ক্যাপেলা বাতিস্তা এখন ঢাকায়।মোহামেডানের ফুটবল কোচ সাইফুল বারী টিটো জানুয়ারি থেকে নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয় দলের সহকারীর দায়িত্বে। কয়েক মাস আগে থেকে তাই ভালো একজন বিদেশি কোচের খোঁজে ছিল সাদা-কালোরা। রুই কাপেলার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েই ছিল আগেই। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে পরিচয় করে দেওয়া হলো আজ। আপাতত ছয় মাসের চুক্তিতে কাজ করবেন ক্যাপেলা। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।খুব বেশি ভালো ইংরেজি বলতে পারেন না ক্যাপেলা। সেই সঙ্গে ছিল ভ্রমণের ক্লান্তি। তাই পরিচয় পর্বের পর গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন সংক্ষিপ্ত আকারে। চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। ইউরোপের ক্লাবগুলো ছেড়ে বাংলাদেশে আসার কারণ হিসেবে বললেন এটাই, ‘এখানে এসেছি একটা আলাদা অভিজ্ঞতা, আলাদা চ্যালেঞ্জ নিতে। এই চ্যালেঞ্জটা আমি নিচ্ছি।’কতটুকু চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন তিনি? কোচিং ক্যারিয়ারটা খুব বেশি সমৃদ্ধ নয়। পর্তুগালের লেভেল ওয়ান কোচেস কোর্স করেছেন। আছে উয়েফা লেভেল টুয়ের লাইসেন্স। ঢাকায় আসার আগে দায়িত্বে ছিলেন প্যারাগুয়ের ক্লাব থ্রি ডি ফেবরেরো ও পর্তুগালের ক্লাব পোরতেমনিয়াসে। এর আগে কোচিং করিয়েছেন পর্তুগালের ক্লাব কোয়াতেরয়েনসে। মোহামেডান ও বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে যা ধারণা সেটা শুধু ইন্টারনেট ঘেঁটেই জেনেছেন।সাধারণত ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলাতেই ভালোবাসেন ক্যাপেলা। নান্দনিক ফুটবল উপহার দেওয়ায় তাঁর লক্ষ্য। পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৮ দলে খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো তাঁর আদর্শ। তবে পেপ গার্দিওলার কোচিং পদ্ধতিও ভালো লাগে। পর্তুগালের সাবেক ফুটবলার এবং রিয়াল মাদ্রিদ তারকা লুই ফিগো তাঁর বন্ধু বলে দাবি করলেন আজ, ‘ফিগো আমার বন্ধু। ওর সঙ্গে খুব ভালো খাতির আছে। প্রায়ই ফোনে কথা হয় ওর সঙ্গে।’ কখনো কি ঢাকায় ফিগোকে আনতে পারবেন? উত্তরে হেসে বললেন, ‘এটা খুব কঠিন কাজ। সে তো খুবই ব্যস্ত মানুষ।’মোহামেডানে আসা বিদেশি কোচের তালিকায় অষ্টম ক্যাপেলা। এর আগে নাসির হেজাজি, ম্যানিয়াং ক্যাং, সামির সাকির, আদু কাদেরিখানা, ইভানোভিচ, পাকির আলী ও এমেকা ইউজিগো মোহামেডানের ফুটবল কোচের দায়িত্বে ছিলেন। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের গত ছয়টি আসরে একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মোহামেডান। পর্তুগিজ কোচের হাতের ছোঁয়ায় কি এবার অধরা শিরোপা খরা ঘুচবে? |
গতকালের ধারাবাহিকতায় আজ সোমবারও দরপতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেন কমেছে দুই বাজারে।প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৩৭ পয়েন্টে। গতকাল সূচক কমেছিল ৪৪ পয়েন্ট।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।ডিএসইতে আজ ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ২১৫টির দাম কমেছে; বেড়েছে ৫৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।ডিএসইতে আজ লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭২ কোটি টাকা, যা গতকালের চেয়ে ৬০ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৩৩২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৮৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২ হাজার ১৫২ পয়েন্টে।আজ সিএসইতে হাতবদল হওয়া ২১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৬টির শেয়ারের দাম কমেছে; বেড়েছে ৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।সিএসইর লেনদেন আজ ২৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ছয় কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল স্কয়ার ফার্মা। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসসিসিএল, আরগন ডেনিমস, সিএমসি কামাল, গ্রামীণফোন, কনটিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, আরএন স্পিনিং, পদ্মা অয়েল, বিএসসি, ইউনাইটেড এয়ার প্রভৃতি।আগামী বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ছুটির তালিকা প্রস্তুত করে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে অর্থ দপ্তর। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৪ সালে দুর্গাপূজায় রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নয় দিন টানা ছুটি ভোগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। আর কালীপূজায় চার দিন ছুটি থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে আবারও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শাহেদ চৌধুরী ও ইলিয়াস খান। আজ শনিবার ডিআরইউ কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন শেষে সন্ধ্যায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার ফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিটির মনজুরুল আহসান বুলবুল, আবু তাহের, এম এ আজিজ ও শওকত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।নির্বাচনে বিজয়ী অন্যরা হলেন সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন নোমানী, নারীবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ লুত্ফা শাহানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান আজাদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজিজুল পারভেজ, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাহিদ তুষার, মঈন উদ্দিন খান, পিনাকী তালুকদার, মানিক মুনতাসির, পারভীন সুলতানা, সালাহউদ্দিন আহমাদ বাবলু ও তোফাজ্জল হোসেন।এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অর্থ সম্পাদক পদে আশরাফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, ক্রীড়া সম্পাদক বদরুল আলম, আপ্যায়ন সম্পাদক মোস্তফা, কল্যাণ সম্পাদক জামিউল আহসান।স্কি করতে গিয়ে মারাত্মক আহত হওয়া সাতবার ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন মাইকেল শুমাখারের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি এখনো বিপদমুক্ত নন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা। মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় সোমবার গভীর রাতে দ্বিতীয় দফায় অপারেশন চালানো হয় তাঁর মস্তিষ্কে। গ্রেনোবলের চিকিত্সক জাঁ ফ্রাঁসোয়া পায়াঁ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘গতকালের তুলনায় তাঁর অবস্থা কিছুটা ভালো। কিন্তু আমরা বলতে পারছি না যে তিনি শঙ্কামুক্ত।’রোববার সকালে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতের পাদদেশে মেরিবেল রিসোর্টে শখ করে স্কি করতে গিয়েছিলেন। পাথর খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন মাথায়। মস্তিষ্কে গুরুতর জখম হয়েছে। দুর্ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যেই পর্বত পুলিশ হেলিকপ্টারে করে দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের গ্রেনোবলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর চিকিত্সা চলছে। ফেরারির ড্রাইভিং সিটে বসে শুমাখার জিতেছেন রেকর্ড সাতবার ফর্মুলা ওয়ানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট। রেকর্ড ৯১টি প্রতিযোগিতায় জিতে ড্রাইভিং ইতিহাসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অন্য উচ্চতায়। রয়টার্স। |
দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানজনক সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করায় তাঁকে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা আজ সোমবার বিকেলে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।এরপর বিশিষ্ট নাগরিক ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কার সবার প্রাপ্য, বিশেষ করে যারা আমাদের ভোট দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে। যে সম্মান ও মর্যাদা আমরা দেশের জন্য এনেছি, তা যেন অব্যাহত থাকে।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান। কারণ, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) যখন ২০০০ সালে শুরু করা হয়, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী। এখনো আমি প্রধানমন্ত্রী। এমডিজির আটটি লক্ষ্য ২০১৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের আগেই আমরা এর কয়েকটি লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি।’ তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা ২০২০ সালে মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর পুরস্কার নিয়ে আসি। আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সাউথ সাউথ এবং খাদ্যনিরাপত্তার জন্যও পুরস্কার নিয়ে এসেছি। দারিদ্র্যের হার শতকরা ৫৬ থেকে ২৬ ভাগের নিচে নিয়ে এসেছি। বিশ্বমন্দার জন্য যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে পেরেছি। বিশ্বের নানা দেশে যখন আমরা যাই, সবাই এ জন্য আমাদের প্রশংসা করে।’ তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা যা অর্জন করেছি, তা যেন ধরে রাখতে পারি।’ এ জন্য সবার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্র্য, বোমা, সন্ত্রাস ও হানাহানিতে নিমজ্জিত ছিল। অথচ ২০০১ সালে যখন আমরা তাদের কাছে (বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট) ক্ষমতা রেখে আসি, তখন এগুলো ছিল না।’ সংবর্ধনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দর এলাকায় বিপুল লোকসমাগম করার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ। এরপর ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেট থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় ভারতের সাবেক রেলমন্ত্রী ও বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব জামিন পেলেন না। আজ বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের হাইকোর্ট লালুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।এর আগে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাকেশরঞ্জন প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চে লালুর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়।১৯৯৬ সালে ৯৭০ কোটি রুপির পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচির বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন লালু প্রসাদ যাদব। ৩ অক্টোবর রাঁচিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত লালুকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়েছিলেন নৃত্যশিল্পী, মডেল ও অভিনয়শিল্পী আনিকা কবির শখ। ধানমন্ডির বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফা) থেকে মহড়া শেষে কলাবাগান এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের হামলায় রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়েছেন বলে জানান শখ।এ প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে শখ বলেন, ‘অবরোধের কারণে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হইনি। বাফায় মহড়া শেষে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে রিকশাযোগে ধানমন্ডি থেকে কলাবাগান যাচ্ছিলাম। এমন সময় পেছন থেকে আসা মোটরসাইকেলে বসা ছিনতাইকারী আমার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি জোরে টান দেয়। ব্যাগ রক্ষা করতে গিয়ে রিকশার মধ্যে নিজের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারিনি। মুহূর্তের মধ্যে রিকশা থেকে উল্টে রাস্তায় পড়ে যাই। এ ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছি।’ শখ আরও বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে কলাবাগান এলাকায় আমার আত্মীয়দের খবর দিই। তারা এসে আমাকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্সক আমার পায়ে তিনটি সেলাই দেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিত্সাসেবা প্রদান করেন।’শখ আরও বলেন, ‘চিকিত্সক আমাকে সপ্তাহ দুয়েকের ওষুধ দিয়েছেন। আর আমাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল থেকে একটু বেশি ব্যথা অনুভব করছি। তাই চিকিত্সকের পরামর্শে বিশ্রামে আছি।’এদিকে, দুর্ঘটনার কারণে শখ বেশ কয়েকটি নাটক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফটো শ্যুট বাতিল করেছেন। শখ বলেন, ‘বিজয় দিবস, ভালোবাসা দিবসের কয়েকটি খণ্ড নাটক এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফটো শ্যুট করার কথা ছিল। কিন্তু এ মুহূর্তে সবকিছু বাতিল করতে হচ্ছে। সুস্থ হয়ে তারপর কাজে ফিরব।’লাক্স ও ডেটল সাবানের ভেতর সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রেখে পাচারের চেষ্টা করেছিলেন এক যাত্রী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়োজিত শুল্ক কর্মকর্তারা স্ক্যানিং মেশিনের সাহায্যে শনাক্ত করেন সেই সোনার বিস্কুট। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে মাস্কট থেকে ওমান এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন নুরুল আবছার নামের এক যাত্রী। স্ক্যানিং মেশিনে যাচাই করার সময় সাবানের ভেতর চারটি এবং অন্য প্যাকেটে চারটিসহ মোট আটটি সোনার বিস্কুট ধরা পড়ে। তাঁকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।আটক নুরুল আবছারের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায়। আটক হওয়ার পর শুল্ক কর্মকর্তাদের কাছে তিনি দাবি করেন, এক প্রবাসী তাঁকে এসব মালামাল দেন। এগুলো ওই প্রবাসীর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ আল জামান ‘প্রথম আলো’কে বলেন, উদ্ধার হওয়া আটটি সোনার বিস্কুটের ওজন ৯৩৩ গ্রাম। এগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৪৪ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।জানা গেছে, এ চালানসহ এ বছর মোট ১৪টি সোনার চালান ধরা পড়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। এসব চালানে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার ৭৪ কেজি সোনা ছিল। নিয়মানুযায়ী, এসব সোনার বিস্কুট যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। |
স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলে তা ভারতে পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় এই আশঙ্কা প্রকাশ করে।বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এ বি এম আবুল কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়, নিজেদের ওপর তাদের আস্থার অভাব রয়েছে। তারা জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি। দেশের বাজারে কমে গেলে পেঁয়াজ ভারতে পাচার হয়ে যাবে। বৈঠক সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কার বিষয়ে সংসদীয় কমিটি থেকে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়নি।সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটি বাজারে পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এ ছাড়া আগামী ঈদের সময় সব ধরনের মসলার দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য পর্যবেক্ষণকাজ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।কয়েক দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের সংসদকে জানিয়েছিলেন, গত আগস্টে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায় এবং দাম বেড়ে যায়। ওই সময় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় পৌঁছায়। ভারতের বাজারে দাম বাড়ার প্রভাবে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।কমিটির সভাপতি এ বি এম আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য রুমানা মাহমুদ ও জয়নাল আবেদীন অংশ নেন।ব্যক্তি শ্রেণীর বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় আরও এক মাস বাড়ল। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় এক মাস সময় বাড়ানোর পর আজই বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে। কিন্তু আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবারের মতো আবারও সময় বাড়ানো হলো।সময় বাড়ানোর কারণ হিসেবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর বলেছে, পবিত্র হজ পালন, ঈদুল আজহা ও দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে বিঘ্ন ঘটেছে উল্লেখ করে বিভিন্ন পেশাজীবী ও বাণিজ্য সংগঠন সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। এ ছাড়া ইন্টারনেটে টিআইএন নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধন নতুন পদ্ধতি হওয়ায় করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে আরও কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন।প্রতিবছরই ৩০ সেপ্টেম্বর রিটার্ন জমার নিয়মিত সময়সীমা শেষ হয়। কিন্তু দেখা যায়, এই সময়ে রিটার্ন খুব বেশি জমা পড়ে না। তাই প্রতিবছর সময় একাধিক দফায় বাড়াতে বাধ্য হয় এনবিআর।চলতি বছরে এই পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ টিআইএনধারী তাঁদের আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছেন। গত করবর্ষে এর পরিমাণ ছিল সাড়ে ১২ লাখ। বর্তমানে ১৭ লাখ সক্রিয় টিআইএনধারী রয়েছেন। চলতি বছরে এনবিআর ১৭ লাখের বেশি অকার্যকর টিআইএন বাতিল করেছে। আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, টিআইএন থাকলেই রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সময়মতো আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা করার বিধান রয়েছে।কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা আবদুর রউফকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁকে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নানের কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়।সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মান্নানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান অরুণ, খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার, সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামানসহ দলের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে সামসুজ্জামান অরুণ সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯৬ সালে আবদুর রউফ দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাঁকে নেত্রী দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। তাঁর ভাই আবদুল ওয়াহেদ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তালিকাভুক্ত রাজাকার। তিনি (রউফ) কুমারখালী উপজেলার কোনো কমিটির সদস্য নন।লিখিত বক্তব্যে আবদুর রউফকে বাদ দিয়ে এ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী যেকোনো নেতাকে মনোনয়নের দাবি জানানো হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ দাবি না মানা হলে হরতালসহ গণপদত্যাগেরও নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দলের প্রধান কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কুষ্টিয়া-৪ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত হিসেবে আবদুর রউফের নাম ঘোষণা করেন।আবদুর রউফ কুমারখালী উপজেলার বাসিন্দা। এ আসনে বর্তমান সাংসদ সুলতানা তরুণের পরিবর্তে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।রাজধানীর মৌচাকে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ককটেল হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে শহীদুল নামের পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হন।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও দুর্বৃত্তদের ওপর পাল্টা গুলি ছোড়েন।রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরছেনমেরিল-প্রথম আলো সহায়তা তহবিল থেকে সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত ১০ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।সহায়তা পাওয়া ওই ১০ জন হলেন জোসনা বেগম, আবদুর রশিদ, লাকি আক্তার, আবদুর রশিদ, মেঘলা খাতুন, সাবিনা, খোদেজা বেগম, শিউলি আক্তার, জুয়েল রানা ও মোবারক হোসেন।আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আহত ওই ১০ জনকে চেক দেওয়া হয়। চেক নিতে আসা আহত শ্রমিক জুয়েল রানা বলেন, ‘সে সময় আমার কথা কেউ শুনতে পায় না। বাঁচাও বাঁচাও বলতে বলতে দম বন্ধ হয়ে গেছিল। পানির পিপাসায় আমার আওয়াজ বের হয় না গলা দিয়ে। আমার মনে পড়লে এহনো কান্দন আসে। পচে যাওয়া গন্ধ ভাত খাইছিলাম তখন।’ওই দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়া জোসনা বেগম বলেন, ‘মাথায় ব্যথা উঠলে আর সহ্য হয় না। এখনো পা ভেঙে বসতে পারি না, বিছানায় বাথরুম করতে হয়।’ তিনি আরও জানান, এ টাকা দিয়ে তিনি একটি দর্জির দোকান দেবেন।জুয়েল রানা ও জোসনা বেগমের সুস্থ হতে আরও ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানা গেছে।চেক হস্তান্তরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ও প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আজিজা আহমেদ।সহায়তা তহবিলের পরিকল্পনা: মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিলের আওতায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২০ জনকে বাছাই করে তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া ও পুনর্বাসনের কাজ চলছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি ১৫ দিন পর ২০ জন করে আহত ব্যক্তিকে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া ও পুনর্বাসিত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত এই সহায়তা পেয়েছেন মোট ৫০ জন। তহবিলে মোট জমা পড়েছে দুই কোটি ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৯২৩ টাকা। এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯২ লাখ ৯৭ হাজার ৬১৮ টাকা ।যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ নজরুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাসির উদ্দীনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ইউএনওর জিপ ও পুলিশের ব্যবহূত দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা।আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার চালকিডাঙ্গা এলাকার যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের সবাই মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অবরোধকারীরা কাঠের গুঁড়ি ও বৈদ্যুতিক পিলার রাস্তার ওপর ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। আজ দুপুরে পুলিশ তা অপসারণ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে অবরোধকারীরা ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। একপর্যায়ে তারা ককটেল বিস্ফোরণ করে। পুলিশও পাল্টা কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে ইউএনও, ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার ওসি মীর রেজাউল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আজ দুপুরে সড়কে রাখা গাছের গুঁড়ি ও বৈদ্যুতিক পিলার অপসারণ করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে অবরোধকারীরা ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। একপর্যায়ে তাঁরা ককটেল বিস্ফোরণ করে। এতে ইউএনও, ওসিসহ পুলিশের অন্তত ১০ সদস্য আহত হয়েছেন। চালকিডাঙ্গা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইদ্রিস আলী বলেন, পুলিশের সঙ্গে ১৮ দলের ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দলের অন্তত ১০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে ভিন্ন মত থাকলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যু ও মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে সবার মধ্যে মতৈক্য থাকতে হবে বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দল দুটির নেতারা বলেছেন, ‘নির্বাচন আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুকে এক করা যাবে না।’সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য একটি স্থায়ী ও স্থিতিশীল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য “ভোটের সংখ্যানুপাতিক আসন বণ্টন” ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে টাকার খেলা, পেশি শক্তির দাপট, সাম্প্রদায়িক প্রচারণা, প্রশাসনিক কারসাজি থেকে মুক্ত করতে হবে।’দল দুটি মনে করে, সংঘাত-সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা অব্যাহত থাকায় দেশ ধ্বংসের কিনারায় এসে পৌঁছেছে। ‘চরম দুর্ভোগ ও বিপদ’ থেকে দেশবাসী মুক্তি চায়। দেশবাসী ‘চর দখলের কায়দায় এ ধরনের আদর্শহীন, রুগণ রাজনীতি’ আর সহ্য করবে না।সহিংস বিরোধের আত্মঘাতী পথ পরিহার করে, গণতান্ত্রিক সহনশীলতা ও সমঝোতার পথে আসার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিপিবি-বাসদ নেতারা ।তাঁরা আরও বলেন, আদর্শ-বর্জিত ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংঘাত একদিকে আওয়ামী লীগকে ‘প্রচণ্ড দমন-পীড়ন এবং স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতার অন্ধকারের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপিকে উগ্র সাম্প্রদায়িক সশস্ত্র জঙ্গিবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র জিম্মি করে ফেলছে। ফলে দেশের গণতন্ত্র বিপদের সম্মুখীন এবং স্বাধীনতা ও যুক্তিযুদ্ধ হুমকির মুখে পড়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া বানচাল হওয়ার বিপদ সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থানের সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে।বিবৃতিতে নেতারা ‘যুদ্ধাপরাধী ঘাতকদের দল জামায়াত ইসলামী ও তাদের দোসর শিবিরসহ স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট দল ও শক্তি নিষিদ্ধ এবং তাদের অর্থের উত্স, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, রিক্রুটমেন্ট ব্যবস্থা, ক্যাডার বাহিনীর কাঠামো ও নেতাদের কেন্দ্র নিশ্ছিন্ন করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।’ |
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময় দিয়ে ১৫ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী ছাত্রদের সংগঠন বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক জাকির হোসেন।জাকির হোসেন বলেন, ‘যেহেতু সরকার আমাদের দাবি পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই সেগুলো যেন ১৫ দিনের মধ্যে পূরণ করা হয় সে জন্য ওই সময় পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন স্থগিত থাকবে। শিক্ষার্থীরা এ সময় রাজপথে থাকবে না। তবে যেসব শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে।’সভায় শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, গণপূর্তসচিব খন্দকার শওকত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষার্থীদের জানানো হয়, পলিটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবেই বিবেচিত হবেন এবং চাকরিতে যোগদানকালে তাঁদের পদের নাম হবে ‘উপসহকারী প্রকৌশলী’। দুই সচিব আরও জানান, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে বিধিমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।এর আগে দুপুরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আরও একটি সভায় একই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেটি বিকেলের সভায় অবহিত করা হয়।পেশাগত বৈষম্য নিরসন ও সুপারভাইজিং পদ পরিবর্তনসহ কয়েক দফা দাবিতে কয়েক দিন ধরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গতকাল থেকে এ আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়।বিভিন্ন সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ছাত্ররা গতকাল তাঁদের ক্যাম্পাসসহ অনেক স্থানে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধ করেন। এসব ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় আড়াই শ ব্যক্তি আহত ও ৬৪ জন আটক হন। প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্ত করে ২০০৮ সালের গেজেট সংশোধন এবং ছাত্রদের বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।নির্বাচনী আচরণবিধির কাজ আপাতত বন্ধ রেখে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য কাজ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।হরতালে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী শনিবার সারা দেশের উপজেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন তিনি।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এই আহ্বান জানান।হরতাল চলাকালে ‘হত্যা’ হামলা, মামলার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট।ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দয়া করে আরপিও সংশোধন, আচরণবিধি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না।এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।আচরণবিধি করা আপাতত বন্ধ করে পকেটে রাখেন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য কাজ করুন।’ না হলে জনগণ এই নির্বাচন কমিশনকে কালো তালিকাভুক্ত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।সমাবেশ থেকে হরতালে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী শনিবার সারা দেশে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।বিএনপির মুখপাত্র অভিযোগ করেন, সরকার মুখে সংলাপের কথা বললেও আসলে তারা সংলাপ-সমঝোতা চায় না।সংলাপের নামে তারা নাটক করছে।সরকার সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নিয়েছে।তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।সুতরাং আলোচনা হতে হলে বলতে হবে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চান কি চান না।’টেলিফোনে দুই নেত্রীর কথোপকথন ফাঁসের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ বেআইনি, অপরাধমূলক কাজ।’খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ইনু যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ঔদ্ধত্যের শামিল।খালেদা জিয়া সত্যিকারের নেতা—তা টেলিফোন আলাপে প্রমাণিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।বর্তমান সংবিধানকে পাড়া-মহল্লার ক্লাবের গঠনতন্ত্রের চেয়েও নিকৃষ্ট বলে মন্তব্য করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা।জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তাঁরা শান্তি, সমঝোতা চান।কিন্তু সরকার সংলাপের নাটক শুরু করেছে।দাওয়াতের ফাঁদে পড়ে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না।সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেট ও আশপাশের এলাকায় সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ফার্মগেট পুলিশ বক্স, ফার্মগেট ওভারব্রিজ ও কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারার সামনে একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ হয়।পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক সিরাজুল আলম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফার্মগেট পুলিশ বক্সের সামনের সড়কে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। প্রায় একই সময় ফার্মগেট ওভারব্রিজের নিচে দুটি এবং কারওয়ান বাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার সামনের সড়কে একটি করে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর ১০ মিনিট পর পান্থপথ স্কয়ার হাসপাতালের সামনে আরও একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।এর আগে বিকেল পাঁচটার দিকে বিজয় সরণিতে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিল।আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেন, তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারসহ পলাতক ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম ওয়াসিম শেখ পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মালিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ঘটনার এক বছর আট দিনের মাথায় এই অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন তাজরীনের এমডি দেলোয়ার হোসেন, তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহাবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আবদুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান ওরফে দুলাল, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন ওরফে মঞ্জু, দুলাল উদ্দিন, হামিদুল ইসলাম, আল আমীন, আনারুল, মো. আল আমীন, শামীম মিয়া ও আনিসুর রহমান। শেষের ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন জামিনে ও একজন কারাগারে আছেন।তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে অন্য আসামিদের পলাতক দেখিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।অভিযোগপত্রে তিনজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। তাঁরা হলেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রোডাকশন ম্যানেজার সোহেল রানা, কাটিং লোডার সুজন হাওলাদার ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস। মামলায় ১০৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।অভিযোগপত্রে বলা হয়, কারখানা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন মেনে করা হয়নি। শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ ছিল না। তিনটি সিঁড়ির মধ্যে দুটি নিচতলার গুদামের ভেতরে এসে শেষ হয়েছে। ওই গুদামে আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বের হতে চাইলে কারাখানার ম্যানেজার শ্রমিকদের বাধা দিয়ে বলেন, আগুন লাগেনি। অগ্নিনির্বাপণের মহড়া চলছে। তিনি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। এতে শ্রমিকেরা নিচে নামতে পারেননি। মালিকের অবহেলাজনিত হত্যা ও নরহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৪৩৬, ৩০৪, ৩০৪-ক ও ৪২৭ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।গত বছরের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন লাগে। এতে অন্তত ১১১ জন নিহত, দুই শতাধিক আহত ও অসুস্থ হয়েছেন। ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানার পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কারখানায় অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে একটি মামলা করে। ঘটনার কয়েক দিন পর রেহানা নামে নিখোঁজ এক শ্রমিকের ভাই আবদুল মতিন ঢাকার নিম্ন আদালতে দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে একটি নালিশি মামলা করেন। আদালত আশুলিয়া থানাকে তা তদন্তের নির্দেশ দেন। |
নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। এরই মধ্যে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোয় চলছে নানারকম মেরুকরণ। পয়েন্ট তালিকায় জনপ্রিয় দলগুলো কেউ ওপরে, কেউ নিচে। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাউন্ডও ইতিমধ্যে মাঠে গড়িয়েছে। ক্লাবগুলোর সাফল্য-ব্যর্থতার সারথি কোচদের প্রাথমিক পারফরম্যান্সও এখন অতসী কাচের নিচে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল, বায়ার্ন মিউনিখ, রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার দ্রোণাচার্যরাও এখন ব্যস্ত সাফল্য-ব্যর্থতা, বীরদর্পে এগিয়ে চলা আর হোঁচট খাওয়ার খতিয়ান মেলাতে। ইউরোপের শীর্ষ সাতটি ক্লাবের কোচদের বর্তমান অবস্থা আর ভাবনা নিয়েই প্রথম আলো ডটকমের পাঠকদের জন্য এই বিশেষ প্রতিবেদনডেভিড ময়েস: শুরু থেকেই সংকটস্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের উত্তরসূরি হওয়াটাই একটা চাপ। আরও বড় চাপ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো সাফল্য-প্রধান দলের কোচ হওয়া। একসময় এভারটনের কোচ ছিলেন। ইপিএলে মাঝামাঝি একটা অবস্থানের বাইরে যাওয়ার কোনো চাপ ছিল না। কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ডের লাল বাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে চাপ কাকে বলে সেটা খুব ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন ডেভিড ময়েস। লিগের ৬ ম্যাচে ৩ হারে ময়েসের চাপটা এখন রূপ নিয়েছে অবিন্যস্ত এক সংকটে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এ মুহূর্তে তাঁর দল ইউনাইটেডের অবস্থান দ্বাদশ। ময়েস রাতে ঘুমাচ্ছেন কীভাবে কে জানে!ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি: হাল ছাড়তে নারাজম্যানচেস্টার সিটির কোচ হয়েই দলের সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন ম্যানচেস্টার ডার্বিতে বাজিমাত্ করে। তবে শনিবার অ্যাস্টন ভিলার কাছে দুবার এগিয়ে গিয়েও হারের পর একটু চাপে আছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সিটির অবস্থান খুব একটা খারাপ নয়। তবে আরও ভালো হতে পারত ছোটখাটো ভুলগুলো এড়িয়ে যেতে পারলে। এখনো পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ৩ জয়, ২ ড্র আর এক হারে তাদের অবস্থান পঞ্চম। লিগ টেবিলে ৩ নম্বর অবস্থানে থেকে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য অনুপ্রেরণা পেতেই পারেন পেলেগ্রিনি। হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনো অবস্থানে নেই এবারই দায়িত্ব নেওয়া এই চিলিয়ান কোচ।হোসে মরিনহো: যত দোষ ওই রেফারির!লিগ টেবিলে চেলসির অবস্থান খুব একটা খারাপ নয়। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচেই সুইস দল এফসি বাসেলের কাছে হেরে যাওয়ায় মালিক রোমান আব্রামোভিচের শ্যেনদৃষ্টি পড়ে গেছে মরিনহোর ওপর। লিগের পারফরম্যান্সটা খুব একটা শক্তপোক্ত নয়। সেদিন টটেনহামের সঙ্গে কোনোমতে ড্র করে মান বাঁচিয়েছে দল। তবে মরিনহো স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উদোর পিণ্ডি অন্যের ঘাড়েই চাপাতে চাইছেন। টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচে তোরেসের লালকার্ডটি নিয়েই তিনি এখন বাজার গরম করে যাচ্ছেন। রেফারিং ‘খারাপ’ হলে কোনো দলের পক্ষেই লড়াই করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।পেপ গার্দিওলা: বায়ার্নকে হাঁটাচ্ছেন নিজের পথেইবার্সেলোনা ছেড়ে এক বছর ফুটবলের বাইরে ছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। এ বছরের শুরুতে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেওয়ার পর ভ্রূ কিছুটা কুঁচকেছিলেন নিন্দুকেরা, ‘এবার বোঝা যাবে পেপের দৌড় কতদূর।’ নিন্দুকদের ওই কথায় কান দেননি বার্সার হয়ে প্রায় সবকিছুই জয় করা এই কোচ। বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নিয়েই একাগ্রচিত্তে দল সাজাতে শুরু করলেন। আপাতত দল নিয়ে তিনি খুশিই। জার্মান বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন স্বমহিমাতেই উজ্জ্বল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বরুসিয়া ডর্টমুন্ড সমানে টক্কর দিয়ে চললেও পয়েন্টে এখনো সমানে-সমানই। গোলগড়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও গার্দিওলা দলকে হাটাচ্ছেন তাঁর পথেই। কিছুদিন আগেই তিনি বলেছেন, বায়ার্ন নাকি ধীরে হলেও সঠিক পথে চলা শুরু করেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ইউরোপ-সেরার লড়াইয়ের শুরুটাও ভালো। ভেলা ভাসিয়ে দিয়েছেন গার্দিওলা। অপেক্ষা কেবল তীরে পৌঁছানোর। এখনো আশাহত হওয়ার মতো কোনো ঘটনাই গার্দিওলার বেলায় ঘটেনি।আর্সেন ওয়েঙ্গার: স্বপ্ন এবার অনেক বড়২০০১ থেকে ২০০৪-এর সময়টা এখনো ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে আর্সেন ওয়েঙ্গারের মধ্যে। কী মধুরই না ছিল সময়টা! পর পর দুবার সাফল্যের শীর্ষে গিয়ে হঠাত্ই যেন খেই হারিয়ে ফেলল তাঁর দল। ২০০৪ থেকে ২০১৩। দীর্ঘ বিরতি। নয়-নয়টি বছর। একেবারেই সাফল্য-বুভুক্ষু ক্লাবটি। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করেছে। এবারের ইংলিশ লিগে এখনো পর্যন্ত শীর্ষ স্থানটা আর্সেনালেরই দখলে। ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে ওয়েঙ্গারের দল। ড্র নেই; হার মাত্র একটিতে। ফরাসি কোচের মনের মধ্যে এখনই লিগ জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছে। তাঁর মন বলছে, এবার আর ব্যর্থ হবে না তাঁর দল।কার্লো আনচেলত্তি: আপাতত নির্বিকাররিয়াল মাদ্রিদ কোচের যেন কোনো কিছুতেই রা নেই। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হারটাও হজম করে নিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত লিগে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর মতো কোনো বার্তা নেই। বরং রিয়ালের খেলা বার্তা দিচ্ছে উল্টোটারই। তার পরও আনচেলত্তি এসব নিয়ে ভাবছেন না। তিনি এগিয়ে যেতে চান। দেখতে চান শেষ। এখনো লিগের সাত ম্যাচে ৫ জয়, ১ হার আর ১ ড্র নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে রিয়াল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার যে পারফরম্যান্স, তাতে অপেক্ষা করে যাওয়া ছাড়া আর কীইবা করার আছে এই ইতালীয় কোচের!জেরার্ডো মার্টিনো: চির বিনয়ীবার্সেলোনার কোচরা এমনই হন। কথাবার্তা খুব বেশি বলেন না। চুপচাপ কাজ করে যাওয়াটাই তাঁদের লক্ষ্য। গার্দিওলা, ভিলানোভা—সবাই এই পথেই হেঁটেছেন। আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনোও ব্যতিক্রম নন। স্প্যানিশ লা লিগায় শীর্ষ স্থানটা তাঁর দলেরই। প্রথম থেকে টানা সাতটি ম্যাচ জেতাতে পারেনি বার্সার ইতিহাসের আর কেউই। প্রতিটি ম্যাচেই যেন নিজেদের আরও পরিশীলিত ঢংয়ে আবিষ্কার করছে দলটি। দলের এই প্রাথমিক সাফল্যের কোনো কৃতিত্বই নিতে চান না মার্টিনো। জানিয়েছেন, পাড়ি দেওয়ার পথ এখনো অনেক বাকি। পুরো মৌসুম বাকি, পড়ে আছে চ্যাম্পিয়নস লিগও। সব জিতেই উত্সবটা করতে চান ‘টাটা’।পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের নেতা বেনজীর আহমেদকে (২২) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বেনজীরের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এ হামলার জন্য ছাত্রলীগ শিবিরকে দায়ী করেছে। পুলিশও এ হামলার জন্য শিবিরকেই সন্দেহ করছে।আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সাতমাথা-শেরপুর সড়কের কানুচগাড়ি এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। বেনজীর আহমেদ কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল আলম প্রথম আলো ডটকমকে জানান, বেনজীরের বাঁ হাত ও পায়ের রগ কেটে গেছে। তাঁর শরীরের অন্যান্য আঘাত গুরুতর। তাঁকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো জানান, তিনি হাসপাতালে বেনজীরের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে ওই হামলা চালিয়েছে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে প্রথমে কুপিয়েছে ও পরে রগ কেটে দিয়েছে। পরে তাঁকে ফেলে রেখে যায়।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সরকারি শাহ সুলতান কলেজকেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেন বেনজীর। সেখান থেকে তিনি রিকশায় শহরের সাতমাথায় ফিরছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের কানুচগাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তরা বেনজীরের রিকশা থামায়। এ সময় তারা সবার সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বেনজীরকে প্রথমে শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বেনজীর আহমেদ সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছে।বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, ছাত্রলীগ নেতার ওপর এই হামলার সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবির জড়িত থাকতে পারে। হামলার ধরন দেখে সন্দেহের তির শিবিরের দিকেই। অতীতেও তারা হাত-পায়ের রগ কাটার মতো হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।ছাত্রশিবিরের বগুড়া শহর কমিটির প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, শিবির এ ধরনের জঘন্য হামলায় বিশ্বাসী নয়। এ হামলার সঙ্গে শিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতাও নেই। শিবিরও হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন ছয়জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৯ জন সাংসদ। দলটির সংসদীয় বোর্ডের একাধিক সদস্য বলছেন, দুর্নীতি, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, জনবিচ্ছিন্নতা, দলীয় কর্মকাণ্ডে অনীহা ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসব মন্ত্রী ও সাংসদ বাদ পড়েছেন। এ ছাড়া কয়েকটি আসনে দলীয় কোন্দল থাকায় ওসব আসনে অপেক্ষাকৃত নবীন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।দলটির সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে। যৌক্তিক কারণেই এসব মন্ত্রী ও সাংসদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ তালিকা এখন সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি ছাড়া অন্য কেউ পরিবর্তন করতে পারবেন না।দলটির নেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার নিজ আসন পাবনা-২ থেকে মনোনয়ন ফরমই কেনেননি। তাঁর আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক আরজু।সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ছিলেন সাবেক মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস। স্থানীয় একজন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা থেকে তাঁকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, মন্ত্রী হওয়ার পর এলাকার কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। তবে লতিফ বিশ্বাসকে বাদ দেওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড। তাঁর পরিবর্তে সিরাজগঞ্জের জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল মজিদ মণ্ডলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল লতিফ বিশ্বাস প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘আমাকে বাদ দেওয়া হলো—এটা আমি বুঝতে পারছি না। নেত্রী আমাকে তৃণমূল থেকে এনে পাঁচ বছর মন্ত্রিত্ব করিয়েছেন। আমি এখন কী করব, সেটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত নেব।’পদ্মা সেতু দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এবং জনবিচ্ছিন্নতার কারণে নিজ আসন যশোর-২ থেকে মনোনয়ন পাননি তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। তিনি ছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাঁকো ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাঁর পরিবর্তে জেলার ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড। দলটির ভাষ্য, কর্মীদের সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ নেই, তাঁদের কখনোই মনোনয়ন দেওয়া হবে না।দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে অনীহার কারণে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার নিজ আসন নাটোর-২ থেকে মনোনয়ন পাননি। তাঁর জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল।শারীরিক অসুস্থতার কারণে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ নিজ আসন হবিগঞ্জ-৪ থেকে মনোনয়ন পাননি। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী।জনবিচ্ছিন্ন ও দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় না থাকায় সাবেক বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক নিজ আসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাননি। তাঁর জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন ঐতিহাসিক কানসাট আন্দোলনের নেতা গোলাম রব্বানি।আর পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগ এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় না থাকার কারণে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন নিজ আসন মাদারীপুর-৩ থেকে মনোনয়ন পাননি। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।যশোর-৩ মনোনয়ন পেয়েছেন কাজী নাবিল আহমেদ। বর্তমান সাংসদ খালেদুর রহমান টিটো, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রেজা রাজু ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে সেখানকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত। তাঁদের কাউকে মনোনয়ন দিলে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা ছিল। অন্যদিকে, কাজী নাবিল আহমেদ নতুন মুখ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কারণে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছে দলীয় প্রার্থী হিসেবে।পটুয়াখালী-৩ আসনের বিতর্কিত সাংসদ গোলাম মাওলা রনির পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। এক-এগারো সরকারের সময়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় নবম সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাননি জাহাঙ্গীর। তখন হঠাত্ করে নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন রনি। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য দলের মনোনয়ন পাবেন না জেনেই রনি মনোনয়ন ফরম কেনেননি বলে দলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন।রানা প্লাজার মালিক রানাকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া এবং গত পাঁচ বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ঢাকা-১৯ আসনের বর্তমান সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ বাদ পড়েছেন। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এনামুর রহমান।আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার সময় এনামুর রহমানের সেবামূলক কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ফলে, মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগ ভালো কাজের পুরস্কার দিয়েছে।এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি তানভীর শাকিল জয়ের বাবা মোহাম্মদ নাসিমকে (সিরাজগঞ্জ-১), নিলুফার জাফরউল্লাহর স্বামী কাজী জাফরউল্লাহকে (ফরিদপুর-৪), হাবিবুন্নাহার খালেকের স্বামী তালুকদার আবদুল খালেককে (বাগেরহাট-৩)।রাজশাহীতে গত পাঁচ দিন ধরে বিএনপির পুরুষ নেতা-কর্মীরা মাঠে নেই। নারী নেতৃত্বে চলছে জোটের বিভিন্ন কর্মসূচি। আজ মঙ্গলবার তাদের নির্ধারিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কোনো পুরুষের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। মিছিল হয়েছে, তবে এর পুরোভাগেই ছিলেন নারীরা। এর আগে নেতাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন নারীরা।তবে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা উপস্থিত না থাকলেও তাঁরাই নগরে ঝটিকা মিছিল করেছেন। ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় তাঁদের কর্মী খুন হওয়ার প্রতিবাদে তারা নগরের রানীবাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে।বিএনপির পক্ষে নারীদের মধ্যে যাঁরা নেতৃত্বে রয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই নেতাদের স্ত্রী ও স্বজনেরা। নেতৃত্বের সম্মুখভাবে রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর স্ত্রী সালমা শাহাদাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শরীফের স্ত্রী মৌসুমী সাইদ, নগর বিএনপির সদস্য শাকিলুর রহমানের মা সখিনা বেগম প্রমুখ। রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী কাজী হেনাও রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে।২৬ ডিসেম্বর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল শেষে বোমা হামলায় সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকার নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত ও আরও আট পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মিজানুর রহমান মিনু ও মোসাদ্দেক হোসেনসহ জোটের ৩৫০ নেতা-কর্মীর নামে নগরের বোয়ালিয়া থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। ওই দিন রাত থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তারের জন্য নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযান শুরুর পর থেকে নগরে নেতা-কর্মীদের আর দেখা যাচ্ছে না। নির্ধারিত কর্মসূচিতেও পুরুষ নেতা-কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যে পুলিশ রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজাহান আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।আজ জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ছিল। এতে নেতৃত্ব দেন নারী নেত্রীরাই। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন নারীরা। কোনো পুরুষ সদস্য এতে উপস্থিত ছিলেন না। দুপুরে রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা নগরের ভুবন মোহন পার্কে জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি নগরের মালোপাড়া কাদিরগঞ্জ হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুর স্ত্রী সালমা শাহাদাত। মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহিলা দলের নেত্রীরা তাঁদের নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।এর আগে গত শনিবার বিকেলে নগর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নারীরাই। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুর স্ত্রী সালমা শাহাদাতের অভিযোগ, রাজশাহীতে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। রাতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাদের না পেয়ে তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে ভয় দেখাতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমরা তাতে ভীত নই।’ বিএনপির নেতারা যে আন্দোলনে আছেন, সেই আন্দোলনে তাঁরা স্বামীর পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন। |
গাড়ির জানালার কাচে রং না রাখার বিধান থাকলেও তা না মানার কারণে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশের সতর্কবার্তা পেলেন ‘দাবাং’ তারকা সালমান খান। এর আগে মুম্বাইয়ের পুলিশের কাছে ধরা পড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন বলিউডের তারকা বিদ্যা বালান ও অজয় দেবগন।সম্প্রতি সালমান তাঁর গাড়িতে চেপে দক্ষিণ মুম্বাইয়ে যাওয়ার পথে ওরলি এলাকায় গাড়িটি থামিয়ে দেয় মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশ। হালকা রং করা কাচের জানালা দেখে গাড়িটি থামানোর পর ভেতরে সালমানকে দেখতে পায় পুলিশ। মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন সালমান। তাঁর মতো জনপ্রিয় তারকাকে পেয়ে কঠোর না হয়ে বরং গলেই যান পুলিশের সদস্যরা। তাঁরা নিজেদের মোবাইল ফোনে সালমানের সঙ্গে ছবিও তোলেন। এরপর হালকা সতর্কবার্তা জানিয়ে সালমানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।গাড়িতে রং করা কাচের জানালা থাকায় এখন পর্যন্ত একাধিকবার ট্রাফিক পুলিশের সতর্কবার্তা পেয়েছেন ‘ডার্টি পিকচার’ তারকা বিদ্যা বালান। সতর্কবার্তা পাওয়ার পাশাপাশি প্রতিবারই জরিমানা গুনতে হয়েছে তাঁকে। তার পরও গাড়ির জানালা থেকে রং ওঠাননি তিনি। উল্টো গাড়িতে রং করা কাচের জানালা রাখতে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি। এর পেছনে বিদ্যার অজুহাত, সূর্যের আলো নাকি একদমই সহ্য করতে পারেন না তিনি।অন্যদিকে, গত ১৫ আগস্ট শুটিং শেষে নিজের গাড়িতে চেপে ঘরে ফেরার পথে অজয় দেবগনের গাড়ি থামিয়ে দিয়েছিল ট্রাফিক পুলিশ। গাড়িতে রং করা কাচের জানালা থাকায় অজয়ের গাড়ির চালকের লাইসেন্সও নিয়ে নেয় পুলিশ। সে সময় তারকাখ্যাতি কাজে লাগিয়ে পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা না করে খুশিমনেই আইন মেনে নেন অজয়। দ্রুত গাড়ির জানালা থেকে রং উঠিয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরদিন সকালেই গাড়িটি থানায় পাঠিয়ে দেন তিনি। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় একজন তারকার কাছ থেকে আইনের প্রতি এমন শ্রদ্ধাশীল আচরণ পেয়ে তাঁর অনেক প্রশংসা করেছিল পুলিশ।কিশোরগঞ্জে নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাদিরা আক্তার (১৪) হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আ ম ম সাঈদ তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ মার্চ রাত আটটার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দি পূর্বপাড়া গ্রামের সামছুল হকের মেয়ে নাদিরা পাশের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।পথে তিন যুবক তাকে উঠিয়ে নিয়ে যান এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালান।পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে যুবকেরা শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন।ওই ঘটনার পরদিন নাদিরার ভাই রুনু মিয়া বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।ওই মামলার আসামিরা হলেন একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রুবেল (২৮), আল মামুন (২৯) ও আবদুল মোমেন রবিন (২৮)।আসামিদের মধ্যে রুবেল ও মামুন চলতি বছরের ৩১ মার্চ বিচারিক হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নাদিরা আক্তার হোসেন্দি দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন শাহ আজিজুল হক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন জালাল উদ্দিন।বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘জঘন্যতম’ বলে বর্ণনা করেছে দলটি। বিএনপির ভাষায়, পুলিশ জলদস্যুদের মতো দলের কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে।দলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ আজ শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ওই ঘটনার নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে দলের কার্যালয়ে পুলিশির অভিযানের একটি বর্ণনাও দেওয়া হয়।অন্যান্য অবরোধের দিনের মতো সংবাদ সম্মেলন করে পরিস্থিতি তুলে ধরা না হলেও সন্ধ্যায় এই বিবৃতিতে অবরোধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমদ। দলের সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফের সই করা ওই বিবৃতিতে সালাহউদ্দিনকে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।আজ সকালে সালাউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও দুপুরের পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তাঁকে যেতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে পুলিশ সালাউদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালায়।সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অবৈধ সরকারের’ মন্ত্রীরা আলোচনার নামে ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। আলোচনার আগে সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দিয়ে, মামলা প্রত্যাহার করে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো গোপন সংগঠন করি না। তলে তলে নয়, আলোচনা যদি হয়, তা প্রকাশ্যে হতে হবে। অবশ্যই আলোচনার পূর্বে নির্দলীয় সরকারের দাবি নীতিগতভাবে মেনে নিতে হবে।’বিএনপির বর্ণনায় পুলিশের অভিযানবিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেন, ‘গত রাতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাদাপোশাকধারী ডিবি পুলিশ ডাকাতি কায়দায় গভীর রাত্রে সাড়ে তিনটার দিকে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় জলদস্যুদের ন্যায় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে তারা গ্রিল কেটে দরজা ভেঙে দুজন সাংবাদিককে এক কক্ষে বেঁধে ফেলে, তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের লাঞ্ছিত করে। তারা প্রথমে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং কক্ষের সব আসবাব তছনছ করে। এরপর তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং সব আসবাব তছনছ করে। সবশেষে তারা বিএনপির (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের কক্ষে ঢুকে কম্পিউটার, টেলিফোন লাইন, টেলিভিশনসহ কক্ষের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আসবাব ভেঙেচুরে তছনছ করে এবং ঘুমিয়ে থাকা রিজভী আহমেদকে তাঁর কক্ষের কাচের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাঁর চোখ বেঁধে তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করে উঠিয়ে নিয়ে যায়।’অবরোধের প্রথম দিনে আজ শনিবার সারা দেশে একজন নিহত, ২৬৮ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার এবং ৩৩৭ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।বিবৃতিতে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণ-আন্দোলনে তীব্রতা দেখে সরকার অতিমাত্রায় ভীত হয়ে দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, হত্যা-গ্রেপ্তারের চালিয়ে শেষ রক্ষা পেতে চায়।বিএনপির বক্তব্য তুলে ধরার কেউ নেই!দপ্তরের দায়িত্বে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কার্যত দল ও জোটের বক্তব্য তুলে ধরার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।হরতাল-অবরোধ চলাকালে প্রতিদিন বিকাল চারটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দিনের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিনে দল বা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো সংবাদ সম্মেলন হয়নি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দায়িত্বশীল কোনো নেতাকেও দেখা যায়নি। দলের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতাই আছেন আত্মগোপনে। তবে সন্ধ্যায় বিবৃতির মাধ্যমে দলের বক্তব্য গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়।আজ ভোরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দলের আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কথা বলেন। কিন্তু দুপুরের পর তাঁকেও আর পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুলিশ তাঁর খোঁজে তাঁর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায় তল্লাশি চালিয়েছে। দলের মুখপাত্র ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আত্মগোপনে আছেন। তাঁর ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ফোন করে দলের স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগ সদস্যের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।এর আগে গত ৮ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্যসহ পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তারের পরও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ নেতা আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তবে সে সময় হরতালের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করে দলের বক্তব্য তুলে ধরতেন রিজভী। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর কোনো নেতাকে যেতে দেখা যায়নি। সকাল থেকে কার্যালয়ে ছিলেন কর্মচারীরা। এর মধ্যে দুপুরে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন করে।বিকেলে ঢাকা মহানগর বিএনপি এক ই-মেইল বার্তায় ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে অবরোধের সমর্থনে মিছিল এবং নেতা-কর্মীদের আটক করার খবর জানিয়েছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্যসচিব এম এ সালাম ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও নিপীড়নের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তাঁরা নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।নৌকা মার্কায় ভোট দিলে ভবিষ্যতে দেশে কোনো কুঁড়েঘর থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে কুঁড়েঘর অন্তত টিনের ঘর হবে।আজ মঙ্গলবার রংপুরের পীরগঞ্জে খালাস পীরে তরফ মৌজা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী এক জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া) ছাড়াও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন শেখ হাসিনা।জনসভায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘আপনারা আমাকে ২০০৮ সালে ভোট দিয়ে যেভাবে নির্বাচিত করেছেন, এবারও আপনারা সেভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন আশা করি। এ জন্য অনেক কষ্ট করে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে ভবিষ্যতে দেশে কোনো কুঁড়েঘর থাকবে না। অন্তত টিনের ঘর হবে। তাই আপনারা একটু কষ্ট করে হলেও এবার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় আমাকে ভোট দেবেন। আমি আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামীতে ক্ষমতায় গেলে আমরা জামায়াত-শিবিরের বিচার শেষ করব। ইতিমধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। আমি আপনাদের সেবা করতে চাই।’রংপুর-৬ আসনে শেখ হাসিনার আদতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই নেই। যদিও ব্যালট পেপারে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে নাম থাকছে নূর আলমের। প্রতীকও থাকছে জাপার লাঙ্গল। তবে জাপার এই প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তা প্রত্যাহার দেখানো হয়নি। তিনি কোনো নির্বাচনী সভা করেননি। এমনকি তাঁর পক্ষে পোস্টার ছাপা বা টাঙানো হয়নি।একতরফা এই নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো কৌতূহল নেই। এলাকায় ভোটের কোনো আমেজও নেই। নেই কোনো তোরণ, ব্যানারও। তবে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান ও শেখ হাসিনার আগমনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টাঙানো হয়েছে।শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদ ও নির্বাচন প্রতিহত করতে পীরগঞ্জসহ রংপুরের আট উপজেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে ১৮-দলীয় জোট। |
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় সুপারভাইজার নয়, উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে বিবেচিত হবেন। আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ যৌথ সভা শেষে শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও গৃহায়ণসচিব খোন্দকার শওকত হোসেন সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্তের কথা জানান।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবেই বিবেচিত হবেন। এ বিষয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই গেজেট প্রকাশ করা হবে।গৃহায়ণসচিব খোন্দকার শওকত হোসেন বলেন, ‘একটা ভুল ধারণা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আমরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবেই বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সবাইকে বলতে চাই, কোনোভাবেই আমরা সুপারভাইজার পদ তৈরি করিনি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলতে চাই, চাকরিতে যোগদানের সময় তাঁদের পদ হবে উপসহকারী প্রকৌশলী।’শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘আশা করি শিক্ষার্থীরা এখন তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। তাঁরা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবেই বিবেচিত হবেন।’ তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীরা যেসব পরীক্ষা বর্জন করেছেন, সেসব বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত হবে।সভায় উপস্থিত ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান বলেন, সিদ্ধান্ত হলেও দীর্ঘদিন ধরে গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত অবিশ্বাস থেকে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেলে ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষাসচিবদের বৈঠকের কথা রয়েছে।জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি হয়রানি-আতঙ্কে ভুগছেন। সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া একটি রাজনৈতিক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের হুমকি এবং সর্বশেষ গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর নেত্রকোনার বাড়িতে পুলিশের অভিযান চালানো হয়। এর পর থেকে ন্যান্সি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন ন্যান্সি।সংবাদ সম্মেলনে ন্যান্সি বলেন, ‘আমি সব শ্রেণী-পেশার মানুষের শিল্পী। সাত বছর ধরেই পেশাদার শিল্পী হিসেবে গান করছি। এত বছর পর্যন্ত সবাই আমাকে শিল্পী হিসেবে চিনেছে। ২১ অক্টোবর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করার পর থেকে আমার কাছে নানা মাধ্যম থেকে হুমকি আসছে। আর গত মঙ্গলবার পুলিশের কাছে আমি হয়ে গেলাম ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের আশ্রয়দাতা! যার জন্য গভীর রাতে পুলিশের একটি দল আমার বাড়িতে অভিযান চালায়। বিষয়টিতে আমার অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছুই বলার নাই।’ন্যান্সি আরও বলেন, ‘আমি সংগীতাঙ্গনের মানুষ। গানই করতে চাই। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশের স্বাধীনতা আমার অবশ্যই আছে। তাই বলে আমাকে পুলিশের মাধ্যমে হয়রানি হতে হবে, ভাবতে পারিনি।’ন্যান্সি এ-ও বলেন, পুলিশি অভিযানের পর অনেকে আমাকে থানায় জিডি করতে বলেছেন। কিন্তু যেসব পুলিশ আমার বাড়িতে কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই এত রাতে গিয়েছিলেন, তারা কি নিজেদের বিরুদ্ধে জিডি নিবেন? সত্যিই আমি আতঙ্কিত। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আর তাই তো বাধ্য হয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের অসহায়ত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরছি।’নিজের সক্রিয় রাজনীতির ব্যাপারে ন্যান্সি বলেন, ‘আমি কখনোই সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। তবে জাতীয়াতাবাদী রাজনীতির আদর্শের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’সংবাদ সম্মেলনে ন্যান্সি ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম, জাসাসের সভাপতি আবদুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, জাসাসের নেতা রিজিয়া পারভীনসহ আরও অনেকে।প্রসঙ্গত, ২১ অক্টোবর রাতে ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেন ন্যান্সি। বিএনপির প্রতি সমর্থন জানানোর পাশাপাশি বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার অনেক প্রশংসা করেন তিনি। ন্যান্সি তাঁর ফেসবুক বার্তায় লেখেন, ‘আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। আজ বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনলাম। আমি ও আমার পরিবার সব সময় বিএনপিকে সাপোর্ট করেছি। কিন্তু আজ বিএনপির পক্ষপাতিত্ব করে নয়, বাংলাদেশের একজন সাধারণ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্পষ্ট, সুচিন্তিত, জনহিতকর বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই। সেই সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা অন্যায় করেছেন বা করছেন, তাঁদের প্রতি তিনি (বেগম জিয়া) যে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি দেখিয়েছেন, সেটাও নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।’একই স্ট্যাটাসের ন্যান্সি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে লেখেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহারকারী শেখ হাসিনার জন্য নয়, দীর্ঘদিন ধরে শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে যাঁরা আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট করেছেন, তাঁদের সকল অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করেছেন; এখনি সময় প্রতিবাদ করার। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের মিথ্যাচারের কবল থেকে মুক্তি চায়। তাই এবার শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিএনপি জয়লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।’দপ্তরের দায়িত্বে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কার্যত দল ও জোটের বক্তব্য তুলে ধরার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। হরতাল-অবরোধ চলাকালে প্রতিদিন বিকাল চারটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দিনের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিনে দল বা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো সংবাদ সম্মেলন হয়নি। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দায়িত্বশীল কোনো নেতাকেও দেখা যায়নি। দলের বেশির ভাগ শীর্ষ নেতাই আছেন আত্মগোপনে।তবে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিবৃতির মাধ্যমে দলের বক্তব্য গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে। আজ ভোরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দলের আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কথা বলেন। কিন্তু দুপুরের পর তাঁকেও আর পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুলিশ তাঁর খোঁজে তাঁর গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায় তল্লাশি চালিয়েছে। দলের মুখপাত্র ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আত্মগোপনে আছেন। তাঁর ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ফোন করে দলের স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগ সদস্যের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।এর আগে গত ৮ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্যসহ পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তারের পরও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ নেতা আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তবে সে সময় হরতালের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করে দলের বক্তব্য তুলে ধরতেন রিজভী। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর কোনো নেতাকে যেতে দেখা যায়নি। সকাল থেকে কার্যালয়ে ছিলেন কর্মচারীরা। এর মধ্যে দুপুরে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন করে।বিকেলে ঢাকা মহানগর বিএনপি এক ই-মেইল বার্তায় ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে অবরোধের সমর্থনে মিছিল এবং নেতা-কর্মীদের আটক করার খবর জানিয়েছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্যসচিব এম এ সালাম ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও নিপীড়নের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তাঁরা নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।২০১৩ সালে বলিউডের ছবির অগ্রযাত্রায় ভিন্ন এক মাত্রা যুক্ত হয়েছে। একের পর এক বক্স অফিসে ঝড় তোলা ছবি উপহার দিয়েছেন তারকা ও নির্মাতারা। ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘গোলিও কি রাসলীলা: রাম-লীলা’, ‘কৃশ ৩’, ‘ধুম ৩’ ছবিগুলো দেখতে প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শকেরা।২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া এসব ছবি নিত্যনতুন সব রেকর্ড গড়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র বোদ্ধা ও কলা-কুশলীদেরও। এ বছর বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যবসা করেছে হিন্দি ছবি। সব মিলিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়েই থাকবে ২০১৩ সাল।এ বছর বলিউডের ছবিগুলো সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে বক্স অফিসে। বলিউডের ছবির ইতিহাসে অতীতের নানা রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে এ বছর মুক্তি পাওয়া একাধিক ছবি। চলতি বছরের আগস্টে মুক্তি পায় শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিটি। মুক্তির পরপরই হইচই ফেলে দেয় ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। মাত্র চার দিনে ১০০ কোটি রুপি আয় করে হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে ১০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করে রোহিত শেঠি পরিচালিত ছবিটি। দুই সপ্তাহের মাথায় এর ঝুলিতে জমা পড়ে ২০০ কোটি রুপি। ৩৯৫ কোটি রুপি আয় করে আমির খানের ‘থ্রি ইডিয়টস’কে টপকে হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড গড়ে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। আমির খানের ‘ধুম ৩’ মুক্তি পায় ২০ ডিসেম্বর। মুক্তির পরপরই ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবির রেকর্ড ভেঙে রীতিমতো তোলপাড় তোলে ‘ধুম ৩’। আমির খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ছবিটি মাত্র তিন দিনে আয় করে ১০৭ কোটি ৬১ লাখ রুপি। এর মধ্য দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রের বক্স অফিস ইতিহাসে অনন্য এক নজির গড়ে অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ছবিটি।২০১৩ সালে বেশ কয়েকটি ছবি ১০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রেস ২’, ‘আশিকি ২’, ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘গোলিও কি রাসলীলা: রাম-লীলা’, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’, ‘কৃশ ৩’ ও ‘ধুম ৩’।ভারতের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন সুপরিচিত বলিউড। ২০১৩ সালে হিন্দি ছবির বিস্তৃতি বেড়েছে বহুগুণ। পেরু, পানামা, মরক্কোসহ এমন অনেকে দেশে বলিউডের ছবি মুক্তি পেয়েছে, যা আগে কখনো ঘটেনি। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে মুক্তি দেওয়া হয় ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। বলিউডের ছবির ইতিহাসে ভারতের বাইরে এত বেশি দেশে আগে কখনোই কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। হিন্দির পাশাপাশি ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, আরবি, জার্মান, হিব্রুসহ ১০টি ভাষায় ডাবিং করে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়। এমনকি ছবির পোস্টারেও এসব ভাষা ব্যবহার করা হয়। হিন্দি ছবির ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে বলিউডের ছবি মুক্তির রেকর্ডও হয়েছে ২০১৩ সালে। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিটি ভারতের সাড়ে তিন হাজার প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও ৭০০ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু বছর শেষে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবির গড়া রেকর্ড ভেঙে দিয়ে কেবল ভারতেই সাড়ে চার হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ধুম ৩’। এর মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তির রেকর্ড এখন ‘ধুম ৩’-এর দখলে। এ বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল হলিউডের ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের অভিনয়। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র জগতে দাপটের সঙ্গে বিচরণ করলেও এবারই প্রথম ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি’ ছবির মাধ্যমে অমিতাভের হলিউড অভিষেক হয়। এ ছাড়া হলিউডের অ্যানিমেশন ছবি ‘প্লেনস’-এ এশিয়ান একটি চরিত্রে কণ্ঠ দেন ‘দেশি গার্ল’ তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। চলতি বছরেই প্রকাশিত হয় তাঁর ‘এক্সোটিক’ গানটি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুক্তি পাওয়া প্রিয়াঙ্কার দ্বিতীয় গান এটা। গানটিতে তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দেন মার্কিন র্যাপ সংগীতশিল্পী পিটবুল। এদিকে বর্ষীয়ান অভিনেতা অনুপম খের অভিনীত হলিউডের ছবি ‘সিলভার লাইনিংস প্লেবুক’ ২০১৩ সালের অস্কার আসরে মোট আটটি বিভাগে মনোনয়ন পাওয়ার মধ্য দিয়ে আলোচিত হয়।শাহরুখ, খান, মনোজ বাজপায়ী ও বিদ্যা বালানের মতো তারকাদের শুরুটা হয়েছিল ছোট পর্দায়। পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্রে সাফল্য পান তাঁরা। এ বছর ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় কাজ করে আলোচিত হয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত, অমিত সাদ, করণ কুন্দ্রা ও মনীশ পাল।বরাবরের মতো এ বছরও বিদেশি অভিনয়শিল্পীর অভিষেক হয়েছে বলিউডে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অভিনেত্রী এলি আবরাম, অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী ক্রিস্টিনা আখিভা ও রেকেকা ব্রিডস। তাঁরা অভিনয় করেছেন ‘মিকি ভাইরাস’, ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা ২’ এবং ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছবিতে। দক্ষিণী তারকাদের বলিউড অভিষেকও আগের তুলনায় বেশি হয়েছে ২০১৩ সালে। রাম চরণ তেজা, ধানুশ, তামান্না ভাটিয়া ও তাপসী পান্নু অভিনয় করেছেন যথাক্রমে ‘জঞ্জির’, ‘রাঞ্ঝা’, ‘হিম্মতওয়ালা’ এবং ‘চশমে বদ্দুর’ ছবিতে।নাচ-গানে ভরপুর মসলাদার ছবির পাশাপাশি বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রও এ বছর আলোচিত হয়েছে বলিউডে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দ্য লাঞ্চবক্স’, ‘শিপ অব থিসিয়াস’, ‘শহীদ’ এবং ‘বিএ পাস’। ভিন্ন ধারার বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত কয়েকটি ছবিও সাফল্য দেখিয়েছে ২০১৩ সালে। ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘শর্টস’, ‘বোম্বে টকিজ’ এবং এবিসিডি: অ্যানিবডি ক্যান ড্যান্স’। দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে ছবিগুলো।এ বছর ছবির প্রচারণার ক্ষেত্রেও নিত্যনতুন কৌশল দেখিয়েছেন নির্মাতারা। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘কৃশ ৩’ এবং ‘ধুম ৩’। ভিডিও গেমস, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্য বাজারে ছেড়ে ছবিগুলোর প্রচারণা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে কেবল ‘কৃশ ৩’ ছবিরই ১৫০টি পণ্য বাজারে ছাড়া হয়। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে মুখোশ, ব্রেসলেটসহ আরও অনেক কিছু। আর ‘কৃশ ৩’-কে টপকে ২০০ ধরনের পণ্য বাজারে ছাড়ে ‘ধুম ৩’ ছবির প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মস। |
উইন্ডোজ ফোন স্টোর আর উইন্ডোজ স্টোর এ দুটিকে একীভূত করার পরিকল্পনা করেছে মাইক্রোসফট। ২০১৪ সাল নাগাদ উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন স্টোর চালু করবে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।মাইক্রোসফটের একীভূত অ্যাপ স্টোর থেকে উইন্ডোজনির্ভর সব পণ্যের জন্য অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সুবিধাই থাকবে। এ ছাড়াও উইন্ডোজ ৮এর সব প্ল্যাটফর্মেই একই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা সম্ভব হবে।উইন্ডোজ ফোন ৮ নির্ভর স্মার্টফোনের কোনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করলে সেই অ্যাপ্লিকেশনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উইন্ডোজনির্ভর ট্যাবলেট ও কম্পিউটারে ডাউনলোড হয়ে যাবে। আবার উইন্ডোজ নির্ভর ডেস্কটপে তা ডাউনলোড করলে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটেও এটি ব্যবহার করা যাবে। ফলে একই অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডোজের আলাদা প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদাভাবে ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়বে না।প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘দ্য ভার্জ’ এক খবরে জানিয়েছে, উইন্ডোজ ফোন ৮ ও উইন্ডোজ ৮ নির্ভর পণ্যগুলোতে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার আরও সহজ করতে মাইক্রোসফট এ ধরনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেমবিভাগের কর্মকর্তা টেরি মেয়ারসন জানিয়েছেন, মাইক্রোসফটের অভ্যন্তরীণ এক সভায় একটি উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্ম রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উইন্ডোজ ফোন ও উইন্ডোজ ট্যাবলেট, পিসিতে কীভাবে অ্যাপ্লিকেশন কাজ করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি মাইক্রোসফট। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা অবশ্য ধারণা করছেন, অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের অনুকরণে বা গুগলের প্লেস্টোরের মতো করে নিজেদের অ্যাপ স্টোর তৈরি করবে মাইক্রোসফট।পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্ধারিত সময়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বর্তমানে তাঁর নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে অবস্থান করছেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেটা এখনো উন্মুক্ত আছে। বিরোধীদলীয় নেতা যেদিন চাইবেন, সেদিনই সংলাপ হতে পারে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না এলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্ধারিত সময়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিক সংকটের সুযোগে যে অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতা দখল করে তার সুযোগ আমরা আর দিতে পারি না।’বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের কোনো চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নের ব্যাপারে দীপু মনি কোনো মন্তব্য করেননি।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কবে গঠন হবে এবং এতে কারা কারা থাকবেন তা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের ওপর নির্ভর করছে।আগামীকাল রোববার রংপুর জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি। গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি ও নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে এই হরতাল আহ্বান করা হয়।আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই হরতাল ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাফফর হোসেন।বাবা ও পাড়াপড়শির সামনে নববধূর কুমারীত্ব নিয়ে অপবাদ দেওয়ার দায়ে স্বামীকে চাবুকের ২০ ঘা দোররা মারার আদেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের একটি আদালত।সৌদি আরবের সংবাদভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার ‘ডেইলি মেইল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দণ্ডাদেশ পাওয়া ওই ইয়েমেনি পুরুষ তাঁর নববধূর বাবা ও প্রতিবেশীর সামনে স্ত্রীর কুমারীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।স্বামীর অভিযোগ, ওই নারীর আগে বিয়ে ও বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় কুমারীত্ব নিয়ে স্ত্রী তাঁর কাছে মিথ্যাচার করেছেন।স্বামীর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নববধূ তাঁর সম্মান ও আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারে মক্কা নগরের একটি আদালতে যান। স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেননি ওই স্বামী। স্ত্রীর সম্মানহানি করার দায়ে আদালতের বিচারক ওই স্বামীকে প্রকাশ্যে ২০ ঘা চাবুক মারার আদেশ দেন। |
‘সংগ্রাম-দ্য মুভি’ ছবির শুটিং শেষে মাত্র কদিন আগেই দেশে ফিরেছেন আলোচিত র্যাম্প মডেল ও অভিনয়শিল্পী দিলরুবা ইয়াসমীন রুহি। অল্প কয়েক দিনের বিশ্রাম শেষে রুহি এবার থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন। ইসমত আরা শান্তি পরিচালিত ‘মায়ানগর’ ছবির শুটিংয়ের কাজে ২ অক্টোবর দুপুরের একটি ফ্লাইটে দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকা ছাড়ছেন বলেই জানিয়েছেন রুহি।এ প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমকে রুহি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে “সংগ্রাম-দ্য মুভি” ছবির শুটিংয়ে যাওয়ার আগে একটানা বেশ কয়েক দিন ঢাকায় “মায়ানগর” ছবির শুটিং করেছিলাম। ওই সময় ছবিটির শুটিং বেশ উপভোগ করছিলাম। ছবির গল্পটি চমত্কার। এর বেশি আপাতত আর কিছু বলা ঠিক হবে না। এখন ছবির গল্পের কারণেই আমাদের থাইল্যান্ড যেতে হচ্ছে। সেখানে গানসহ বেশ কিছু অংশের শুটিং করা হবে।’এদিকে নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, ‘মায়ানগর’ ছবিতে রুহি দেশের একজন প্রথম সারির র্যাম্প মডেল ও প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ছবিতে রুহি নিপুণকে প্রশিক্ষণ দেন। নিপুণ বস্তিতে থাকেন। একদিন এক আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়েন তিনি। সেই আলোকচিত্রী নিপুণকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। নিপুণকে তিনি নিয়ে যান রুহির কাছে। রুহি তাঁকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেন। একসময় নিপুণ দেশের জনপ্রিয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান।রুহির প্রথম ছবির নাম ‘সংগ্রাম-দ্য মুভি’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাঙালি পরিচালক মুনসুর আলী। ‘মায়ানগর’ রুহির দ্বিতীয় ছবি। রুহি ছাড়া ‘মায়ানগর’ ছবির শুটিংয়ের জন্য থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন নিপুণসহ অন্য অভিনয়শিল্পীরাও।রুহি জানান, সামনে কলকাতায় ‘গ্ল্যামার’ ছবির কাজ করবেন তিনি। এই ছবিতে রুহির বিপরীতে অভিনয় করবেন পরমব্রত।ক্ষমতার প্রভাবের তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে টপকে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বসের নতুন তালিকা সে কথাই বলছে।এ তালিকা অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি পুতিন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ওবামা। সিরিয়া-সংকট সমাধানে নেতৃত্বের প্রভাব বিস্তারে ওবামাকে হটানোর বিষয়টি পুতিনের ক্ষমতার পাল্লা ভারী করে তুলেছে।গতকাল বুধবার প্রকাশিত ফোর্বস সাময়িকীর নতুন সংখ্যায় এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।তিন বছর ধরে এ তালিকার প্রথম অবস্থান দখল করে রেখেছিলেন ওবামা। প্রথমবারের মতো তাঁকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করে নিলেন পুতিন।ক্ষমতার এ পালাবদলের বিষয়ে ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ বছরের শাসনকালে রাশিয়ার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণকে একীভূত করতে সমর্থ হয়েছেন পুতিন। অন্যদিকে পর পর দুই মেয়াদে খুব একটা সাফল্য দেখাতে পারেননি ওবামা। মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক ‘শাটডাউন’ এর সর্বশেষ উদাহরণ।চলতি বছরের আগস্ট মাসে উইকিলিকসের কাছে তথ্য ফাঁসকারী মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় রাশিয়া। এর এক মাস পর সিরিয়া সম্ভাব্য মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রাশিয়া। এ ছাড়া রাসায়নিক অস্ত্রসমর্পণ করার বিষয়েও সিরিয়ার সম্মতি আদায় করতে সমর্থ হয় মস্কো। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হন পুতিন।ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, চতুর্থ পোপ ফ্রান্সিস, পঞ্চম জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদের গ্রামের বাড়িতে আজ শনিবার তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সিকদারপাড়ায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে এ তল্লাশি চালানো হয়।সালাহউদ্দিন আহমদের প্রেস সচিব ছফওয়ানুল করিম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিশেষ আনসার সদস্যরা সালাহউদ্দিন আহমদের গ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় তাঁর কয়েকজন আত্মীয় বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চলে যায়। সেখান থেকে কাউকে আটক বা কোনো কিছু জব্দ করা হয়নি।পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ গ্রামের বাড়িতে আছেন কি না, তা জানতে তল্লাশি চালানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এ তল্লাশি চালানো হয় বলে তিনি জানান।পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আটক হওয়ার পর কার্যালয়ের দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয় সালাহউদ্দিন আহমেদকে। এর পরপরই তাঁর গ্রামের বাড়িতে তল্লাশির ঘটনা ঘটে। দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আগামীকাল বুধবার নির্বাচনী প্রচারে নামছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা শহরে এটাই শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী প্রচার।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়। বেলা দুইটায় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকার কাফরুলের আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, বিকেল তিনটায় পল্লবী হারুন মোল্লা ঈদগা খেলার মাঠ ও পার্ক এবং বিকেল চারটায় উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রবীন্দ্র সরণি এলাকায় প্রচার চালাবেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে শেখ হাসিনা ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। |
ঘটনা গত মাসের প্রথম সপ্তাহে। সাসেক্স-ডার্বিশায়ারের ম্যাচ শেষে মন্টি পানেসার গিয়েছিলেন পানশালায়। পেটে বুঝি একটু বেশিই পড়েছিল! কয়েকজন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করলে নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে ইংলিশ স্পিনারকে বেরিয়ে যেতে বলেন। ‘অপমান’টা সহ্য করতে পারেননি ৩১ বছর বয়সী পানেসার। আচমকা দারোয়ানের গায়ে মূত্রত্যাগ করেই দে দৌড়! নিরাপত্তা রক্ষীও নাছোড়, পিছু পিছু অনেকটা দৌড়ে এক পিত্জা পারলারে গিয়ে পানেসারকে ধরে তুলে দেন পুলিশের হাতে। ৯০ পাউন্ড জরিমানা দিয়ে তবেই রক্ষে!পানেসারের অবাক মূত্রকাণ্ডে হইচই শুরু হয়েছিল। এত দিন পর ইংলিশ স্পিনার স্বীকার করলেন, মূত্রকাণ্ডের ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত। তবে সেটা ইচ্ছাকৃত ছিল না বলেই দাবি তাঁর, ‘আমি জানি, সেটা ভয়ংকর কাজ ছিল। হ্যাঁ, আমি প্রচুর মদ পান করেছিলাম। তবে লোকে যতটা ভাবছে, ততটা মাতাল ছিলাম না। সত্যি বলতে, ওদের ওপর বা ওদের কাছাকাছি মূত্রত্যাগ করার ইচ্ছা আমার ছিল না। পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই আমার মনে হলো, কী করেছি আমি?’ওই ঘটনায় নিজের ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন বলেও ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের কাছে স্বীকার করেন পানেসার, ‘প্রথম দিকে মনে হয়েছিল, আমি বোধ হয় ইংল্যান্ড ক্যারিয়ারকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি, হয়তো গোটা ক্রিকেট ক্যারিয়ারকেই। খুব অসহায় আর একাকী লাগছিল। সেটা ছিল আমার জন্য খুবই দুঃসময়।’দুঃসময়ই বটে। তবে সেটা শুধুই মূত্রকাণ্ডের জন্য নয়। সেই দুঃসময়টা এখনো কাটেনি। নৈশক্লাবে মূত্রকাণ্ডের পর বাজে ফর্মের কারণে অ্যাশেজের কোনো টেস্টেই খেলার সুযোগ পাননি। এরই মধ্যে কাউন্টি দল সাসেক্স তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। এই দুঃসময়ে যিনি পাশে থাকতে পারতেন, তিনিও তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তাঁর। এত কিছুর মধ্যে সম্প্রতি আবারও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় এসেছেন পানেসার। কাউন্টি ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করায় এ সপ্তাহে নিষিদ্ধ হয়েছেন এক ম্যাচের জন্য। নিজের ভুলের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন পানেসার।দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আগামী শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ইশতিয়াখ আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ২৯ অক্টোবর বিকেলে ডিএসইর ইজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাবেক সভাপতি আহমেদ ইকবাল হাসানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ইজিএমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর ফলে ইজিএম স্থগিত করা হয়। পরে গতকাল বুধবার আবেদন প্রত্যাহার করেন আহমেদ ইকবাল হাসান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী শনিবার ইজিএমের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তবে ইজিএমের আলোচ্যসূচি এবং প্রস্তাবিত বিশেষ সিদ্ধান্তসমূহ অপরিবর্তিত থাকবে।ইজিএমের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথককরণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) অনুমোদিত কর্মসূচি (স্কিম), সংশোধিত সংঘবিধি ও সংঘস্মারক এবং প্রথম পরিচালনা পর্ষদের তালিকা গ্রহণ।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আজ শনিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে আগামী বছরে ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে শান্তি-প্রক্রিয়া বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা হবে। হামিদ কারজাই বলেছেন, ‘তালেবানদের ওপর পাকিস্তানের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। তাই আমরা ইসলামাবাদের কাছে “শান্তি-প্রক্রিয়ায় সহায়তা” কামনা করছি।’অনেকের মতে, পাকিস্তানের ভেতরের বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে তালেবানরা সহিংসতা করে থাকে। তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্পর্ক রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে; যদিও ইসলামাবাদ সরাসরি এই বক্তব্যকে প্রত্যাধান করছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইজাজ আহমেদ চৌধুরীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, আফগানিস্তানে শান্তি-প্রক্রিয়া বজায় রাখা ও পুনর্মিত্রতা স্থাপনের জন্য দুই নেতা আলোচনা করবেন।রাষ্ট্রপতি কারজাই বা আফগান শান্তি কাউন্সিলকে ওয়াশিংটনের পুতুল অভিহিত করে তালেবানেরা আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি।আফগান শান্তি কাউন্সিল তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে আগ্রহী। গত মাসে লন্ডনে এই দুই রাষ্ট্রনেতা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইয়ের মূল দাবি হলো পাকিস্তানে আটকরত প্রধান তালেবান নেতাদের মুক্তি। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার সুযোগ পাওয়া যাবে।পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা কিছুদিন আগে তালেবান মিলিটারি কমান্ডার মোল্লা আবদুল গনি বেরাদারকে মুক্তি দিয়েছে। তিনি বর্তমানে তালেবানদের আলোচনায় টেবিলে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির নতুন নগর উন্নয়নমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া গতকাল সোমবার রাতে হঠাত্ করে শহরের বিভিন্ন বস্তি পরিদর্শনে বের হন। এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্যরাতের একটু পরে মন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া বস্তি পরিদর্শনে বের হন। সিসোদেয়া এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি এখানে আপাতত কোনো সমস্যা দেখছি না। আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা বলেছে সবকিছু ঠিক আছে। পরিদর্শনের সময় মনীষ সিসোদিয়ার সঙ্গে ছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা কুমার বিশ্বাস ও সঞ্জয় সিং।’গতকাল সোমবার দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ১৮ বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে কম। সিসোদিয়া বলেন, তিনি বস্তিবাসীদের কাছে তাদের অবস্থার কথা জানতে চেয়েছিলেন। বস্তির পানি সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।সংবাদমাধ্যমগুলোকে মনীষ আরও বলেন, অনেক বস্তিবাসী পুলিশি হয়রানির নালিশ করেছে। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আগামীকাল আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন।পরিদর্শনের পর আম আদমি পার্টির নেতাদেরকে শিভাজি স্টেডিয়ামের পাশে পরটা খেতে দেখা যায়। এই সম্পর্কে সিসোদিয়া বলেন, তাঁরা রাস্তা থেকে উঠে এসেছেন, তাই পথের পাশের দোকান থেকে খেতে কোনো সমস্যা নেই।নগর উন্নয়নমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়ার সঙ্গে পরিদর্শনে আসা আম আদমি পার্টির নেতা কুমার বিশ্বাস আসন্ন নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনে কংগ্রেস নেতা রাহুর গান্ধীর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। কুমার বিশ্বাস বলেন, মন্ত্রী ও দলের কর্মীদের খিদে লাগায় তাঁরা রাস্তার পাশের দোকান থেকে পরোটা খেয়েছেন।আজ সকালে আম আদমি পার্টির নেতা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাখি বিরলা অটোরিকশায় মন্ত্রণালয়ে যান। আরেক নেতা সোমনাথ ভারতী মেট্রো রেলে চড়ে কাজে গেছেন। |
গেজেট সংশোধন এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ও প্রশিক্ষণের ভাতা বাড়ানোর দুই দফা দাবিতে আজ সোমবার সকাল থেকেই বগুড়া, রাজশাহী. পটুয়াখালী ও ফেনীতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন।এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।এতে পুলিশসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।রাজশাহীতে এক পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলেও জানা গেছে।রাজশাহী, বগুড়া ও পটুয়াখালী থেকে ৩৬জনকে আটক করেছে পুলিশ।আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।রাজশাহী: আজ বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল ও কলেজের আসবাব বাইরে নিয়ে এসে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ক্যাম্পাসের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা রাজশাহী-নওগাঁ সড়কে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়লে পুলিশও পাল্টা লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট ছোড়ে।এতে এনামুল হক নামের এক পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৬ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে।বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা পুলিশের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।এ কারণে বাধ্য হয়ে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।এই আন্দোলনে শিবির নেতৃত্ব দিচ্ছে।তিনি দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের ছোড়া গুলিতেই পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।বগুড়া: আজ সকাল থেকে বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।তাঁরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের গত দুই দিনের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ার ঠনঠনিয়ায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।এদিকে আজ সকাল ১০টা থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু সকাল নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেন এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাতমাথা-শেরপুর সড়ক অবরোধ করে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ছোড়ে।পরে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের গলিতে ঢুকে যান।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে।এদিকে, গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লাঠিসোঁটা নিয়ে পরিবহনশ্রমিকেরা রাস্তায় নামেন।তাঁরা এ সময় ‘আমার গাড়ি ভাঙল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘গাড়ি ভাঙচুরকারী সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও’ স্লোগান দেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ করবেন, এটি ধারণায় ছিল না।এই আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের ইন্ধন আছে।তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে।ক্যাম্পাসের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্ত করে ২০০৮ সালের গেজেট সংশোধন এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানোর দাবিতে সারা দেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছেন।পটুয়াখালী: দুই দফা দাবিতে আন্দোলনরত পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার সকালে শহরের করমজাতলা এলাকার মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।পুলিশ এ ঘটনায় পলিটেকনিকের ছয় ছাত্রকে আটক করেছে।তাঁরা হলেন, মো. ইদ্রিস মিয়া , সাইদুর রহমান , সজীব চক্রবর্তী , সাখাওয়াত হোসেন , মো. সুজন ও ইউসুফ বারী। এ ছাড়া গতকাল রোববারের সংর্ঘষের ঘটনায় আটক ২৫জনসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০ জনকে আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।আজ আটক ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ফেনী: সকাল ১০টার দিকে ফেনী পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা ফেনী সদর হাসপাতাল মোড়, একাডেমি এলাকা, গুদাম কোয়াটার রেলগেট ও ফেনী সরকারি কলেজের সামনের সড়কে দোকানপাট, ব্যাংকে ইটপাটকেল ছোড়ে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ফেনী কলেজের সামনে পাঁচটি ককটেল ছোড়ে। পরে আবারও ফেনী হাসপাতাল মোড় এবং ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় চার পুলিশ সদস্য এবং দুই স্থানীয় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। পুলিশ ও সাংবাদিকদের ফেনী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিত্সা নিয়েছেন। দুপুর দেড়টার দিকে পলিটেকনিক শিক্ষক-ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। ফেনী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত ) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মিস এশিয়া প্যাসিফিক ওয়ার্ল্ড ২০১৩-এর সেরা সুন্দরীর শিরোপা জিতলেন ভারতের সৃষ্টি রানা। ২১ বছরের সৃষ্টি ছিলেন মিস ইন্ডিয়া ২০১৩ প্রতিযোগিতার রানার আপ।বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সৃষ্টিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। পরপর দুই বছর এ খেতাব জিতল ভারতীয়রা। গত বছর মিস এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা সুন্দরী হয়েছিলেন হেমাঙ্গিনী সিং।ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের এক খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন তিন মহাদেশের ৪৯টি দেশের বাছাই করা সুন্দরী প্রতিযোগীদের হারিয়ে সেরা হন সৃষ্টি। এ প্রতিযোগিতায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন হেমাঙ্গিনী মুকুট পরিয়ে দেন সৃষ্টির মাথায়।সৃষ্টি ময়ূরের পেখম দিয়ে তৈরি ও ময়ূরকণ্ঠী রঙের বিশেষ কস্টিউম পরে মঞ্চে হাজির ছিলেন। এজন্য সেরা ন্যাশনাল কস্টিউম অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি।সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা সৃষ্টি পুরস্কার জেতার পর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার স্বপ্ন যেন সত্যি হয়েছে। আমার নিজেকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে। পুরস্কার জেতার কথাটি নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না।’সৃষ্টি ও হেমাঙ্গিনীর আগে দুই বলিউড সুন্দরী দিয়া মির্জা ও জিনাত আমন ২০০০ ও ১৯৭০ সালে এই শিরোপা পেয়েছিলেন।যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিষ্ঠুর রাজনীতির নৃশংস কৌশল আজ মানুষকে জিম্মি করেছে। চলন্ত গাড়িতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে মারা হচ্ছে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ শনিবার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত কয়েক মাসে বিরোধীদলীয় হরতাল-অবরোধে সরকারি সম্পত্তি ও রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।মন্ত্রী আরও বলেন, অবরোধের নামে লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর ক্ষতি করা হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষের রুটি-রোজগার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি এ সহিংস রাজনীতি থেকে বিরোধী দলকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পর্দার অন্তরালে আলোচনা ও সমঝোতার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি মানা হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে না এবং সবাই সমান সুযোগ পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বৈঠকে মন্ত্রী জানান, গত কয়েক মাসের আন্দোলনে বিআরটিসির ছয়টি এসি বাস, তিনটি আর্টিকুলেটেড বাস, সিএনজিচালিত ৭৪টি একতলা বাসসহ মোট ১৫৩টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এ ছাড়া ১১টি ডাবল ডেকার বাস, একটি আর্টিকুলেটেড বাস, সিএনজিচালিত নয়টি একতলা (দাইয়ুসহ) বাসসহ ৩২টি গাড়ি আগুনে পোড়ানো হয়েছে, যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। হরতাল ও অবরোধের কারণে রাজস্ব ক্ষতি প্রায় সাড়ে ২৯ কোটি টাকা বলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এ ছাড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অধীন বেশ কিছু বেইলি সেতু, বিভিন্ন স্পটে বিটুমিনাস পেভমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক গাছ ও বেশ কিছু রাস্তা কাটা হয়েছে।সড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুর রহমান লস্কর, বিআরটিসির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করলেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন।আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটা ৫০ মিনিটে সৈয়দ আশরাফের বেইলি রোডের বাসায় যান ব্রিটিশ হাইকমিশনার। এরপর তিনটা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে যান গিবসন। তবে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে গিবসন কিংবা সৈয়দ আশরাফ কোনো কথা বলেননি। এর আগে গতকাল সোমবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন রবার্ট গিবসন। ওই সময়ও গিবসন কিংবা বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি। |
সরকারের বর্তমান মেয়াদেই গ্রামীণ ব্যাংক আইন হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামী বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক আইন-২০১৩-এর খসড়া উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। আজ সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান।গ্রামীণ ব্যাংক আইনের খসড়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, অধ্যাদেশে যা আছে, আইনেও তা থাকবে। খুব বেশি পরিবর্তন করা হবে না। তবে গ্রামীণ ব্যাংককে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর অবকাশের সুবিধা দেওয়া হবে।আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজ জমা পড়ার কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান যোগাযোগ করেননি। কাল-পরশুর মধ্যে তা জমা পড়তে পারে।বর্তমান সরকারের মেয়াদে আর্থিক প্রতিবেদন আইন-২০১৩ সংসদে পাস করা হবে বলে আগে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে আজ তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে আইনটি পাস করা সম্ভব হবে না। কিন্তু আইনটি চূড়ান্ত করে যাবে সরকার।শুরুটা দারুণই হয়েছিল। তামিম ইকবাল আর শামসুর রহমানের উদ্বোধনী জুটিতে রান এসেছিল ৬৩। ভিত্তি মজবুত হওয়ায় বড় একটা সংগ্রহের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডারে হঠাত্ আসা-যাওয়ার মিছিল বাংলাদেশকে করল পথভ্রষ্ট। মুমিনুল, মুশফিক প্রত্যাশা জাগিয়ে তুললেও নিজেদের সংগ্রহকে আর বড় ক্যানভাসে ছড়িয়ে দিতে না পারার খেসারতটা আজ বাংলাদেশ দিয়েছে বেশ ভালোভাবেই। তার পরও সংগ্রহটা যে আড়াই শর কাছাকাছি (২৪৭) গেছে, তার পুরো কৃতিত্ব টপ অর্ডারের স্থিতধী ব্যাটিংকে দিতেই হচ্ছে। তার পরও নির্ধারিত ৫০ ওভার পুরো হওয়ার আগেই দলের অলআউট হয়ে যাওয়াটাকে ব্যর্থতাই বলতে হচ্ছে।মুমিনুল অ্যান্ডারসনের একটু লাফিয়ে ওঠা বলে পুল খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন নাথান ম্যাককালামের হাতে। মুশফিক নিশামের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন লাথামের হাতে। এর আগে শামসুর রহমান নাথান ম্যাককালামের একটা ফুলটস বুঝতে না পেরে স্টাম্পড হন। নাসির নিশামের বলে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ক্যাচে পরিণত হন।তামিম ফিফটি পেয়েছেন। কিন্তু ‘নিজের’ খেলাটা অনুপস্থিতই ছিল তাঁর ইনিংসে। ৫৮ রান করে তিনি ফিরেছেন কুরে অ্যান্ডারসনের বলে। ফিফটি পূরণের আগে তাঁর ব্যাট স্বভাবজাত মারমুখো থাকলেও তার শেষটা হয়েছে কিছুটা হতাশাতেই। তার পরও তামিম যা করেছেন, সেটা দলে বাকিরা করতে পারলেই তো কেল্লাফতে হয়ে যেত। মুমিনুল মুশফিক দুটি মাঝারি ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেলে দলের বিপদের মাত্রাটা আরও বাড়িয়েছেন নাঈম ইসলাম আর নাসির হোসেন। নাসির তো দুই অঙ্কের কোটাও ছুঁতে পারেননি। বাংলাদেশের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ নাসির এই সিরিজে তাঁর বাজে ফর্ম অব্যাহতই রাখলেন। নাঈম ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু তিনিও ধৈর্য ধরে রাখতে না পেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে দলকে বিপদগ্রস্ত করেছেন।মাহমুদউল্লাহ আর সোহাগ গাজীর জুটি ৪৮ রান তুলে দলকে সেই বিপদ থেকে রক্ষা করেছে। মাহমুদউল্লাহ ২১ রান করে অবশ্য আউটটা হয়েছেন বাজে। সোহাগ গাজীর ২৬ রানটাকে অভিনন্দিত করতেই হচ্ছে। মাহমুদউল্লাহ অভিনন্দনটা পেতেন, যদি তিনি তরিটাকে ভালোভাবে তীরে ভেড়াতে পারতেন।মাশরাফি উইকেটে এসেই ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু তাঁর ঝড়টা ছিল ক্ষণস্থায়ী। ৮ বলে ১৪ রান করে তাঁর ফেরাটাও দৃষ্টিকটু। ‘ম্যাশ’ আরও একটু টিকে গেলে হয়তো রানটা আড়াই শ পেরিয়েও আরও কিছু দূর যায়!নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আজ সেরা পারফরমারের স্থানটা নিয়ে দারুণ লড়াই হয়েছে জেমস নিশাম আর কুরে অ্যান্ডারসনের মধ্যে। দুজনেই চারটি করে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ৫৩ আর ৪০ রানে। কাইল মিলস আর টম লাথাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট। উইকেটের পেছনে দারুণ তত্পর ছিলেন উইকেটরক্ষক টম লাথাম। তিনটি ডিসমিসালে তিনি আজ দলে নিজের অন্তর্ভুক্তিটাকে করেছেন সার্থক।রাজধানীর শাহবাগে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ লোকজনের উন্নত চিকিত্সার জন্য ১১ সদস্যের বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল আজ শনিবার প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, আজ সকালে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানদের সমন্বয়ে এ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট রোগীদের দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধ দিয়েছেন।গত বৃহস্পতিবার বিহঙ্গ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে মিরপুরে যাচ্ছিল। সন্ধ্যায় বাসটি শাহবাগে শিশুপার্কের সামনে পৌঁছলে বাইরে থেকে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধ হয় ১৯ যাত্রী। দগ্ধ লোকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁদের একজন ওই দিন রাতেই প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়ে চলে গেছেন। দুজন মারা গেছেন।চিকিত্সাধীন বাকি ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনেরই মাথা, মুখ, গলাসহ শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে চারজন নারী। এদের সবার জীবন রক্ষার যুদ্ধ চলছে বার্ন ইউনিটে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, দুজন ছাড়া সবারই শ্বাসনালি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খুবই শঙ্কার বিষয়।কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সংকট পুরোপুরি না কাটলেও তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, সুচিত্রা সেনের হূত্স্পন্দন ও শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যদিও এখনো তাঁকে আইসিইউতেই রাখা হয়েছে।চিকিত্সকেরা এও জানিয়েছেন, শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়াতেই তাঁর হূত্স্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল। সুগারের ওঠানামাও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল।এদিকে সুচিত্র সেনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মেডিকেল বোর্ডের বুলেটিনে সোমবার রাতে জানানো হয়েছে, তাঁর রক্তচাপ ও হূত্স্পন্দন সন্তোষজনক। রক্ত পরীক্ষার ফলাফলও সন্তোষজনক।গতকাল সোমবার ভোরে সুচিত্রা সেনের চোখের ছানি অপারেশনের কথা ছিল। তা নিয়ে উত্কণ্ঠায় ছিলেন তিনি। উত্কণ্ঠা কাটাতে তাঁর কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে আজ মঙ্গলবার তাঁকে বিশেষ কেবিনে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।হঠাত্ করেই সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ২২ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যার পর। শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে পরদিন ২৩ ডিসেম্বর সুচিত্রা সেনকে কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয় তাঁকে। তখন তিনি সর্দি, জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।সুচিত্রা সেনের ফুসফুসে পানি জমেছে। ডায়াবেটিস থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও বেশি জটিল আকার ধারণ করেছে। তাঁর হার্ট ও কিডনির অবস্থাও ভালো নয়। ফলে সতর্কতার সঙ্গে চিকিত্সা দিতে হচ্ছে।হাসপাতালের চিকিত্সক সুব্রত মৈত্রের তত্ত্বাবধানে আছেন সুচিত্রা সেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় চিকিত্সার দেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। সুচিত্রা সেনের বয়স এখন ৮২। |
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড রোডের আন্দোলনরত ওষুধ ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান খুলতে আজ সোমবার সম্মত হয়েছেন। তবে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেশের সব ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার কর্মসূচি দিয়েছে।গত শনিবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ৮৩ জনকে সোয়া কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২৮টি ওষুধের দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়।একই দিন রাতে ৮২ জন ওষুধ ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায় সোয়া কোটি টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। গতকাল রোববার রফিকুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী দুই লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন।সাজাপ্রাপ্ত ওষুধ ব্যবসায়ীদের মুক্তির দাবিতে গতকাল রোববার দিনভর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড রোডের ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে প্রায় দিনভর বিক্ষোভ করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি এবং জব্দ করা ওষুধ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানান তাঁরা। তবে দোকান খুলতে আজ সম্মত হয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ওষুধ ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করে বিসিডিএস। সমিতির আহ্বানে মিটফোর্ড রোডের আন্দোলনরত ওষুধ ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকান খুলতে সম্মত হন। ওই সভায় আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিসিডিএস।আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেশের সব ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমিতি। এ ছাড়া ওই দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, জব্দ করা ওষুধ ফেরত এবং সরকার আলোচনায় না বসলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশের সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন বিসিডিএসের সভাপতি সাদেকুর রহমান।শনিবার অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আইন ভঙ্গকারীদের জেল-জরিমানা দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, শাস্তি পাওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে কয়েকজনের ড্রাগ লাইসেন্স নেই, অনুমোদিত কোম্পানির বাইরে ওষুধ আমদানি করে কেউ আইন ভঙ্গ করেছেন। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি কেউ কেউ ওষুধ সংরক্ষণের জন্য ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেননি। ওষুধ আইন অনুযায়ী ওষুধের দোকানে টেস্টি স্যালাইন ও খাদ্য সম্পূরক বিক্রি করার নিয়ম না থাকলেও তাঁরা তা করছিলেন। এসব কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে ৮০টি মামলা হয়েছে।শুরুতে কথা ছিল ৪ অক্টোবর মুক্তি পাবে রাজ্জাক পরিচালিত নতুন চলচ্চিত্র আয়নাকাহিনি। শেষ পর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। আয়নাকাহিনি ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ হচ্ছে আগামী ৮ নভেম্বর বলে জানিয়েছেন রাজ্জাক নিজে। এরপর আর কোনোভাবেই ছবিটির মুক্তির তারিখ পেছানো হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।প্রথম আলো ডটকমকে রাজ্জাক জানিয়েছেন, ‘আমার ছবিটি কিন্তু মুক্তির জন্য ছয় মাস আগে থেকেই প্রস্তুত। দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই মুক্তি দিতে চাচ্ছিলাম না। কোরবানির আগের সময়টাকে কিছুটা উপযোগী মনে হলেও পরে আর সাহস দেখালাম না। এখন মোটামুটি ছবিটি মুক্তির জন্য সময়টা অনেক বেশি উপযোগী। তাই ৮ নভেম্বরটাকে বেছে নিলাম।’এদিকে ছবির গল্প প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, ‘আমার নতুন ছবি ‘আয়নাকাহিনি’ অন্য সব ছবিগুলোর মতো নয়। অসাধারণ একটি বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করেই ছবিটি নির্মিত হয়েছে। ‘আয়নাকাহিনি’ যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে একটা আন্দোলনও বলা যেতে পারে। ইমদাদুল হক মিলনের আয়নাকাহিনি উপন্যাসটি পড়ার পরই ছবি বানানোর ব্যাপারে আগ্রহী হই। এখন সবাইকে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন প্রেক্ষাগৃহে যেয়ে ছবিটি উপভোগ করেন।’জানা গেছে, দেশের ৩০ টির মতো প্রেক্ষাগৃহে আয়না কাহিনি ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সম্রাট, কেয়া, শতাব্দী ওয়াদুদ, শামস সুমন, মম মোর্শেদ ও রাজ্জাক প্রমুখ।‘আয়নাকাহিনি’ প্রসঙ্গে রাজ্জাক আরও বলেন, ‘আমার এ ছবির গল্পটি বেশ ভালো। প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী বেশ যত্ন নিয়ে কাজ করেছেন। নির্মাণকাজও ভালো হয়েছে।’২০০৯ সালে রাজ্জাকের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছিল ‘মন দিয়েছি তোমাকে’ ছবিটি। রাজ্জাক পরিচালিত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটির নাম ‘অনন্ত প্রেম’। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৪ সালে।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট করেছেন একজন আইনজীবী। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জানুয়ারি ভোট নেওয়া হবে।তবে তফসিল ঘোষণার আগে আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে সংসদ না ভাঙায় ২৬ নভেম্বর ইউনুস আলী আকন্দ সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান।ইউনুস আলী আকন্দ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, নোটিশের জবাব না পাওয়ায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে। কাল রোববার আদালত বসলে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। রিট আবেদনে ঘোষিত ওই তফসিল কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত তফসিল স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে।রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।গোপালগঞ্জ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কটূক্তি প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে গোপালগঞ্জ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। তা না হলে দেশের বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে সংগঠনটি মানববন্ধন করে এসব কথা বলে।সকাল ১০টায় মানববন্ধন শুরু হয়। মানববন্ধনে বলা হয়, একটি জেলা নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কাজ থেকে এমন কটূক্তি আশা করা যায় না। তাঁর এই বক্তব্যের ফলে গোপালগঞ্জের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যারা গোপালগঞ্জের বাইরে অবস্থান করছেন তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় স্থানীয় লোকজন খালেদা জিয়ার গোপালগঞ্জ বিষয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার এবং তাঁর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। তবে ওই দিন পুলিশি বাধার মুখে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যদের ধমক দেন। বাড়ি গোপালগঞ্জ কি না, জানতে চান।সেখানে উপস্থিত পুলিশের কিছু নারী সদস্য নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকলে তাঁদের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘এই যে মহিলা, মুখটা এখন বন্ধ কেন? এতক্ষণ কী বলছিলেন? মুখ বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালি? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। আপনারা যা করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।’ |
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়েছে।বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।আজ এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সূচনা বক্তব্য মুলতবির আরজি জানান। এর বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সুলতান মাহ্মুদ।পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, দেখা যাচ্ছে ট্রাইব্যুনাল-২-এর তুলনায় এই ট্রাইব্যুনালে অধিকসংখ্যক মামলা নিষ্পত্তির জন্য জমা হয়ে আছে। দ্রুত নিষ্পত্তির স্বার্থে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ১১এ ধারা অনুসারে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হলো।১১এ ধারা অনুসারে বিচারের যেকোনো পর্যায়ে ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অথবা রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক ট্রাইব্যুনাল থেকে অন্য ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তর করতে পারেন।২০১২ সালের ১৭ জুন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল-১ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে।চলতি বছরের ১৬ মে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ ১২টি এবং হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ দুটি।অভিযোগ গঠনের আদেশ অনুসারে, মীর কাসেম আলী ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্র থাকাকালে কলেজ শাখা ইসলামী ছাত্র সংঘের (জামায়াতের তত্কালীন ছাত্র সংগঠন) সভাপতি হন। একাত্তরের ২৫ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম শহর শাখা ছাত্র সংঘের সভাপতি হন, ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন। পরে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সংঘের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘ নাম বদলে ইসলামী ছাত্র শিবির নামে বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করে। মীর কাসেম ছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।আগামী সপ্তাহের শেষ দিকেই সরকার সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের সহায়তায় ট্রাস্ট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের বাস্তবায়ন নিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা বলেন।হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের সহায়তায় ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি তহবিল আছে। এখন বিষয়টিকে আইন আকারে পাস করা হবে।আগামী মন্ত্রিসভায় এটি উপস্থাপন করা হবে। তিনি জানান, এটি আইন আকারে পাস হলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বরাদ্দ নিয়ে বড় ধরনের তহবিল গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে সাংবাদিকেরা উপকৃত হবেন।হরতাল চলাকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্রের ওপর হামলা। প্রশাসন এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।বৈঠকে বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও আরেক অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেছেন, রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি বিবেচনা করবে কমিশন।আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আবু হাফিজ।নির্বাচন কমিশনার হাফিজ জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হবে না। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২ ডিসেম্বর সোমবার। আগামী ৫ জানুয়ারি রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।আবু হাফিজ বলেন, সমঝোতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে তফসিল পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করবে।অবরোধ বা রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, ‘কেউ ভোটার বা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের বাধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নির্বাচনে আসবে না, সেটা আলাদা কথা। কিন্তু যারা আসতে চায়, তাদের বাধা দেওয়া যাবে না।’আবু হাফিজ বলেন, ‘এখন যে কেউ অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে পারবে। তবে ভোট চাইতে পারবে না।’সরকারের দায়িত্ব বিরোধী দলকে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। এ ছাড়া সব দলকে সহিংসতার বন্ধ করে সংলাপের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ...বিস্তারিত |
কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীর হুমকি-ধমকিতে প্রশাসন অভিযান থেকে পিছু হটবে না বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জাহাংগীর হোসেন মল্লিক।একই সঙ্গে কিছু প্রতিষ্ঠানের উত্পাদন বন্ধ করে দেওয়া হলেও ওই সব প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রিট করে আবারও উত্পাদন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।আজ সোমবার বেলা ১১টায় মতিঝিলে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক এ কথা জানান।শনিবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার নয়টি মার্কেটে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ১০৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি ৮৩ জনকে সোয়া কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২৮টি ওষুধের দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়।সাজাপ্রাপ্ত ওষুধ ব্যবসায়ীদের মুক্তির দাবিতে গতকাল রোববার দিনভর মিটফোর্ড রোডের ওষুধ ব্যবসায়ীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোকান বন্ধ করে প্রায় দিনভর বিক্ষোভ করেছেন।জাহাংগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অননুমোদিত ওষুধ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্য বেচাকেনা করা যাবে না—এমন বিজ্ঞপ্তি বারবার দেওয়ার পরও মিটফোর্ডের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অননুমোদিত ওষুধ বিক্রি করছিলেন। সে কারণেই অধিদপ্তর এই অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানটি শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ওষুধ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনও ছিল। যা কিছু হয়েছে তাদের সহযোগিতাতেই হয়েছে। কাউকে হয়রানি করার জন্য হয়নি।উত্সবের আগে অসত্ উপায়ে অর্থ উপার্জনের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে—ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, তিনি নিজে অভিযানে অংশ নিয়েছেন। এতে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ২০০ র্যাব সদস্য ও বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানটি আইন মোতাবেক র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছে।আরেক প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর হোসেন মল্লিক বলেন, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই এমন সব প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যান্টিহিসটামিন, অ্যান্টিবায়োটিক, ভিটমিন, হরমোন, যৌন উত্তেজক, ব্যথানাশক, স্টেরয়েড, ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি করছিলেন। তিনি আরও বলেন, মেরোপেন মের মতো জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ভেজাল হচ্ছে—এমন খবর প্রশাসনের কাছে আছে। কিন্তু অভিযানের দিন দোকানটি বন্ধ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে ধরা যায়নি।মহাপরিচালক আরও বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কিছু প্রতিষ্ঠানের উত্পাদন বন্ধ করেছে। কিন্তু সেগুলো হাইকোর্টে রিট করে আবারও ওষুধ উত্পাদন করছে। মিটফোর্ডে এসব প্রতিষ্ঠানের ওষুধ পাওয়া গেছে।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মেসার্স ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ওয়ার্কস, মেসার্স ওয়েসিস ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, মেসার্স রাসা ফার্মাসিউটিক্যালস, মেসার্স প্যারাডাইজ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লি., মেসার্স শামছুল আলামিন ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মেসার্স ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মেসার্স স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস, মেসার্স বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যালস, মেসার্স ক্রিস্টাল ফার্মাসিউটিক্যালস লি., মেসার্স ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যালস, মেসার্স এ্যাবলেশন ফার্মাসিউটিক্যালস, এনজয় ফার্মাসিউটিক্যালস ও কলিকাতা হারবালের উত্পাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলো রিট করে আবার উত্পাদনে গেছে।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ফুড সাপ্লিমেন্ট দেদার ব্যবহার হচ্ছে, কিন্তু এগুলো ধরার ক্ষমতা অধিদপ্তরকে দেওয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা, র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. ফরহাদ হোসেন ও সাংসদ এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।সপ্তাহের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেন। দিনের লেনদেন শেষে দুই বাজারেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে সূচকও বেড়েছে। তবে লেনদেন কমেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, আজ ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬৭ পয়েন্টে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।ডিএসইতে আজ ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।আজ এই স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৫১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা গতকাল বুধবারের চেয়ে ৩৩ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৩৮৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২ হাজার ২৬৭ পয়েন্টে।সিএসইতে আজ ২০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ৯৫টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৯১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।সিএসইতে আজ ৩০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে পাঁচ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৩৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়।এদিকে ডিএসইতে আজ লেনদেনে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ১৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, এনবিএল, ইউসিবিএল, মালেক স্পিনিং, এনভয় টেক্সটাইল, আরগন ডেনিমস, গ্রামীণফোন, অ্যাপেক্স অ্যাডেলচি ফুটওয়্যার, স্কয়ার ফার্মা প্রভৃতি লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।‘মোস্ট ওয়েলকাম’খ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টিভি চ্যানেলের জন্য তৈরি করেছেন একটি খণ্ড নাটক। নাম ‘রাত্রিকথন’। এরই মধ্যে নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে। খুব শিগগির একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে বলে জানান মামুন। নাটকের গল্প সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অনন্য মামুন বলেন, ‘একদিন আমার সহকারী পরিচালক তাঁর লেখা একটি গল্প আমাকে পড়তে দেন। গল্পটি পড়ে মনে হয় একদমই ভিন্নধারার। তারপরই এটি নিয়ে নাটক নির্মাণের চিন্তা মাথায় আসে। একজন মানুষের বাড়ি ফেরার তাড়া বা পিছুটান কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সেটিই গল্পটিতে ফুটে উঠেছে।’অনন্য মামুন এও বলেন, ‘নাটকটি একটি সম্পূর্ণ রাতের গল্প নিয়ে নির্মিত। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন একজন যুবক। ‘‘রাত্রিকথন’’ নাটকে যুবকের চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জোবায়ের আলম।’যুবকের চরিত্রটি প্রসঙ্গে মামুন বলেন, ‘গল্পটি নাটকে রূপ দেওয়ার সময় কিছু তথ্যের প্রয়োজন পড়ে। আর তখনই তথ্য সংগ্রহের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জোবায়ের আলমের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তারপর এক পর্যায়ে তাঁকে নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে বললে গল্পটি শুনে তিনিও রাজি হন।’ ‘রাত্রিকথন’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন নওশীন, শরিফুল, মনিরা মিঠু, আহাদ, মুক্তি, তানভীর, তন্দ্রাসহ আরও অনেকে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রহমত আলী।সরকারের দায়িত্ব বিরোধী দলকে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। এ ছাড়া সব দলকে সহিংসতার বন্ধ করে সংলাপের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ খোঁজারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।আজ মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে এক লিখিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বেলা তিনটা থেকে পৌনে বিকেল পাঁচ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে এ সাক্ষাত্ হয়। সাক্ষাত্ শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের একটি লিখিত বিবৃতি দেওয়া হয়।খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয় তুলে ধরে ওই বিবৃতিতে ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, ‘আমি ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। সরকারের দায়িত্ব বিরোধী দলকে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া। আর বিরোধী দলের দায়িত্ব এই সুযোগ শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহারের বিষয়টিও আমাদের আলোচনায় উঠে আসে।’সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী, প্রেসক্লাবে সাংবাদিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এগুলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। কোনোভাবেই যেন এগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেটাও আমি আলোচনায় উল্লেখ করেছি। সব দলকে সহিংসতা বন্ধে আমাদের আহ্বান আমরা পুনরায় ব্যক্ত করেছি। কারণ, সহিংসতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটি অগ্রহণযোগ্য এবং এটি এখনই থামাতে হবে। দলগুলোর এখনই সংলাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খোঁজা যে আরও জরুরি হয়ে পড়েছে, সেটার ওপরও আমি গুরুত্বারোপ করি।’সম্প্রতি বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় যুুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, যাঁরা নিজ গণতান্ত্রিক অধিকার শান্তিপূর্ণভাবে চর্চা করতে চান, তাঁদের ওপর এ বিষয়টি ভীতিকর প্রভাব ফেলে। দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যতে সংলাপের সাফল্যের ক্ষেত্রে এই নেতাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ড্যান ডব্লিউ মজীনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় খালেদা জিয়ার দুই উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।গতকাল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন। |
কর্মক্ষেত্রে প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিষ্ঠানই কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর ব্যাপারে সহকর্মীরাও নিরুত্সাহিত করেন। তবে কর্মক্ষেত্রের সম্পর্কই বেশি পরিণতি পায় বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন।যুক্তরাজ্যের ‘ডেইলি এক্সপ্রেস’ পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দুই হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর এ-সম্পর্কিত একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। ওই গবেষণায় এমন ফলাফল পাওয়া গেছে।গবেষণার ফলে দেখা গেছে, বন্ধুবান্ধব, নৈশক্লাব কিংবা অন্য কোনো সূত্রের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে তৈরি হওয়া প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিয়েতে গড়িয়েছে। এই হার ১৪ শতাংশ।বন্ধুদের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের হার ১১ শতাংশ। পরিণতির প্রবণতায় পিছিয়ে থাকলেও বন্ধুদের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়।অন্যদিকে নৈশক্লাব বা পানশালায় যাতায়াত সূত্রে যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, তার স্থায়িত্ব সর্বোচ্চ এক রাত।গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে সৃষ্ট প্রেমে পরিণতির সম্ভাবনা বেশি। গবেষকেরা বলছেন, একই অফিসে একসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে জুটিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এর ফলেই সম্পর্কটি পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।টেলিভিশন কমেডি ‘হাউ আই মিট ইয়োর মাদার’ শিরোনামের ডিভিডির জন্য গবেষণাটি চালানো হয়।পোশাকশ্রমিকদের জন্য নিম্নতম চার হাজার ২৫০ টাকা নতুন মজুরির প্রস্তাব দিয়েছে মালিকপক্ষের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে শ্রমিকপক্ষ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এ কারণে আগামী ৪ নভেম্বর নতুন মজুরি নির্ধারণ নিয়ে আবার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে মালিকপক্ষ ও পোশাকশ্রমিকদের বৈঠক শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুইটা পর্যন্ত বৈঠক চললেও উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, মালিকপক্ষ পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি চার হাজার ২৫০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম এর বিরোধিতা করেন। একপর্যায়ে নিরপেক্ষ সদস্য মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মজুরি পাঁচ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেন। জবাবে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি আরশাদ জামাল জানান, তাঁরা সাড়ে চার হাজার টাকার বেশি দিতে পারবেন না। এ অবস্থায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা মজুরি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার জন্য আরও তিন থেকে চার দিন সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৪ নভেম্বর এ নিয়ে আবার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়।গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে আদালতের উদ্দেশে নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। রিজভীসহ গ্রেপ্তার সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে আগামীকাল রোববার কুড়িগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮-দলীয় জোট। গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তারঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শাহবাগ থানার মামলায় রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই মামলায় তাঁকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।ডিএমপির তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী কমিশনার আবু ইউসুফ জানিয়েছেন, রিজভীকে ডিবি কার্যালয় তেকে বেলা তিনটার দিকে আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপি কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার আজ ভোরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রিজভীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রিজভীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকেও নিয়ে যায় ডিবি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছি কি না, তা জানা যায়নি।গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গতকাল শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে রুহুল কবির রিজভীও আছেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লা ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম। মামলায় তিনজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগঅভিযানের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে বিভিন্ন কক্ষে ডিবির সদস্যরা ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঘটনার ছবি তোলার সময় কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা ভাঙচুরেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ভোর পৌনে চারটার দিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দরজা ভেঙে রিজভী ও বেলালকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এই বর্বরতম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এভাবে নেতাদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে সরকার তার পতন ঠেকাতে পারবে না।’বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক কর্মচারী দাবি করেন, ভোর চারটার কিছু আগে ডিবির সদস্যরা মই বেয়ে দোতলার বারান্দায় ওঠেন। সেখান থেকে দরজার তালা কেটে তাঁরা ভেতরে ঢুকে কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করেন। পরে রিজভী ও বেলালকে নিয়ে যান ডিবির সদস্যরা।বিএনপি কার্যালয়ের বর্তমান অবস্থাসকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলার সামনের অংশের বারান্দার একটি দরজার তালা কাটা। দ্বিতীয় তলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের কক্ষ। ওই কক্ষের দরজা কিছুটা ভেঙে খোলা হয়েছে।তৃতীয় তলায় বিএনপির দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, একটি কাচের দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে রিজভীর টেবিলটি তছনছ করা। তিনি যে কক্ষটিতে ঘুমাতেন, সেটিও লন্ডভন্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া দাপ্তরিক কাজ করা হয়, এমন দুটি কম্পিউটারের সিপিইউ পুলিশ নিয়ে গেছে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মচারীরা দাবি করেছেন।কুড়িগ্রামে কাল হরতালকুড়িগ্রাম থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, আজ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রিজভীসহ সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে কাল কুড়িগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন।প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক বলেছেন, ইলেকশন হয়ে গেছে ফাঁকা মাঠে। বাকি আছে আর এক ভাগ। জনগণ সরাসরি অংশ নেবে সেটার ভোট। তাই এটা ইলেকশন নয় সিলেকশন।আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ডাইনকিনি এলাকায় রোজ গার্ডেন প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুলের ফলাফল ঘোষণা ও নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রফিক-উল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।নির্বাচন নিয়ে চলমান সমস্যার সমাধান কীভাবে হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী রফিক-উল হক বলেন, দুই নেত্রীকে একত্রে বসে সমাধান করতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, ইলেকশন করার জন্য এখনও ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় আছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করতে হবে এর কোনো মানে নেই। তাই সরকারকে বারবার বলেছি নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে এপ্রিলে করেন এবং সব দলের অংশগ্রহণে করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক উইং কমান্ডার বেলাল উদ্দিন। বক্তব্য দেন কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, আটাবহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেলায়েত হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান প্রমুখ। |
২০১১ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১২ সালের সেরা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনয়শিল্পীর সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো আরেকটি পালক। ‘চোরাবালি’ ছবিতে সু-অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন জয়া আহসান।রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে জয়া আহসান একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইন্দ্রনীল।ইমপ্রেস টেলিফিল্মস প্রযোজিত নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর ‘গেরিলা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলেন জয়া। ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনয়শিল্পী নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এবারও সেরা চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জয়া আহসান। এখন শুধু গেজেট আকারে প্রকাশের অপেক্ষা।জয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জয়া আহসান বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি সিঙ্গাপুরে একটি চলচ্চিত্র উত্সবে যোগ দেন। সিঙ্গাপুর থেকে সরাসরি ভারতের নয়াদিল্লিতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) আয়োজনে ‘বিগ পিকচার সামিট-২০১৩’ নামের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন জয়া।জানা গেছে, এ বছরের ডিসেম্বরের কোনো একসময়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে। ‘চোরাবালি’ ছবির জন্য সেরা সংলাপ রচয়িতা হিসেবে রেদওয়ান রনি, খলনায়ক হিসেবে শহীদুজ্জামান সেলিম এবং শব্দগ্রাহক হিসেবে রিপন নাগ নির্বাচিত হয়েছেন।এদিকে, জয়া অভিনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত এ ছবিতে জয়া আহসানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও আরেফিন শুভ।দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, তৈরি পোশাক খাতে একটি নতুন কারখানা স্থাপন করতে সরকারের ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সাত থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি ‘তৈরি পোশাক খাত: সুশাসনের সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষক দল ৮০টি কারখানা ঘুরে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান সাংসদদের মধ্যে ১০ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে তৈরি পোশাকশিল্প মালিক, পরোক্ষভাবে এ ব্যবসায় জড়িত আছেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বহু লোক। তাঁরা তৈরি পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। সে কারণে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা ব্যক্তিরা বাধার সৃষ্টি করেন।টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে আরও যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলো, ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব ৪০-৫০ জনের হাতে কুক্ষিগত থাকা।টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি তৈরি পোশাকশিল্প। এ শিল্পে সুশাসন প্রতিষ্ঠা খুব জরুরি। কিন্তু যেকোনো দুর্ঘটনার পর যে-ই এ বিষয়ে সমালোচনা করুন না কেন তাঁকে বিদেশি চর বলে আখ্যা দেওয়া হয়।টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, গার্মেন্টস খাতটি কার্যত অভিভাবকহীন। এটি একটি আলাদা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা দরকার। নিয়মবহির্ভূত অর্থ ব্যয়টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক শরীফ আহমদ চৌধুরী এবং সহকারী কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা মিনা। টিআইবি বলছে, কারখানার লাইসেন্স নিতে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার, শ্রম লাইসেন্স ও ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনে শ্রম পরিদপ্তরকে দুই থেকে পাঁচ হাজার, ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধ করার জন্য ৫০ হাজার থেকে এক লাখ, ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র পেতে রাজউককে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার, ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদনে এক লাখ ২৪ হাজার থেকে তিন লাখ ৫৪ হাজার, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন ট্রেড লাইসেন্স করতে এক হাজার থেকে ২৫ হাজার, ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন বা কারখানা নির্মাণ ছাড়পত্র বা অনাপত্তিপত্র নিতে ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অগ্নিনির্বাপক ও নিরাপত্তা লাইসেন্স নিতে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার, বয়লার লাইসেন্সে বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার, পরিবেশবিষয়ক লাইসেন্স পেতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার, বিনিয়োগ সার্টিফিকেট পেতে বিনিয়োগ বোর্ডকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার, তালিকাভুক্তি সনদ পেতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোকে আট থেকে ১০ হাজার, আমদানি নিবন্ধন সনদ ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ পেতে প্রধান আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়কে ৩০ থেকে ৫০ হাজার, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে পাঁচ থেকে ২৫ হাজার, বন্ড লাইসেন্সে কাস্টমস অ্যান্ড একসাইজে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ, রেজিস্ট্রেশনে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার, বিদ্যুত্সংযোগে ডেসা বা ডেসকোকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ, গ্যাস সংযোগে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ও পানির সংযোগে ওয়াসাকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়।গবেষকেরা বলছেন, বর্তমান সংসদের শতকরা ১০ জন সাংসদ প্রত্যক্ষভাবে গার্মেন্টস ব্যবসায় যুক্ত। এঁরাই আবার বাণিজ্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। ফলে এ খাতে ইতিবাচক সংস্কারে বাধা ও দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। যেমন বস্ত্র ও পোশাকশিল্প বোর্ডবিল প্রণয়ন, অ্যাপারেল বোর্ড গঠনসহ আইন ও নীতি সংস্কার হচ্ছে না। এ ছাড়া মালিকদের চাপে উেস করের হার ১ দশমিক ২০ শতাংশ কমিয়ে দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে।গবেষকেরা বলছেন, গার্মেন্টস খাতে ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ সীমিত। তার ওপর ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব ৪০-৫০ জনের হাতে কুক্ষিগত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কারখানা পর্যায়ে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা অর্থের বিনিময়ে মালিকের স্বার্থে কাজ করেন।শখ করে নতুন একটি স্মার্টফোন কিনেছেন। কিন্তু কত দিন ভালো লাগবে তা? বড় জোর চার মাস? যুক্তরাজ্যের টেলিকম প্রতিষ্ঠান ওটুর এক জরিপ কিন্তু তা-ই বলছে।এ সময়ের মধ্যে বাজারে নতুন কোনো আপডেট চলে আসবে, যা কোনো বন্ধু বা সহকর্মীকে কিনতে দেখে আপনার শখের স্মার্টফোনটির প্রতি ভালো লাগা ছুটে যাবে। সম্প্রতি ওটুর করা জরিপে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।ওটুর তথ্য অনুযায়ী, যদিও একটি স্মার্টফোন চার মাস পর্যন্ত ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি কিন্তু এদের মধ্যে শতকরা ২৫ শতাংশের আবার মাত্র এক মাস পরই এ ভালো লাগার নেশা ছুটে যায়।এদিকে, এক-তৃতীয়াংশের মত হচ্ছে, তাঁরা সব সময় বাজারের সর্বশেষ স্মার্টফোনটিই কিনতে চান আর ৬০ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন, তাঁদের কেনা সর্বশেষ স্মার্টফোনটি ঠিক থাকলেও নতুন স্মার্টফোন কিনতে চান তাঁরা।সাধারণত যুক্তরাজ্যের মানুষ একটি মুঠোফোন দুই বছর ব্যবহার করেন আর নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় তাদের গড় বাজেট থাকে ২৭০ ব্রিটিশ পাউন্ড। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের নতুন স্মার্টফোনে আগ্রহ বেশি থাকে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর অবসর নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে আজ মঙ্গলবার তিনি তাঁর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।এদিকে অবসরে যাওয়ার ফলে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যানের পদ এখন কার্যত শূন্য। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ পদে কাউকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার।বিচারপতি ফজলে কবির তাঁর মেয়াদের শেষ কার্যদিবসে ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিয়মিত বিচারকাজ পরিচালনা করেন। তাঁর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। পরে তাঁকে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়। ১৯৪৭ সালের ১ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চামা গ্রামে জন্ম গ্রহণকারী বিচারপতি ফজলে কবীর ১৯৭৫ সালে মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে বিচার বিভাগে যোগ দেন। দীর্ঘ বিচারিক জীবনে তিনি ঢাকা, খুলনা, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধায় জেলা ও দায়রা জজ এবং রাজশাহীর বিশেষ বিভাগীয় আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নিয়মিত বিচারপতি পদে নিয়োগ পান। সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সঙ্গে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে থাকার সময় তিনি পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দেন।২০১০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলে বিচারপতি ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠিত হলে তাঁকে ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান করা হয়। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করলে ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি ফজলে কবীরকে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও বিএনপির নেতা সালাদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তিনটির রায় দিয়েছেন। |
বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে ছবি তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন ‘লাইফ অব পাই’খ্যাত অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যাং লি। ছবিটির চিত্রনাট্য লিখছেন ‘স্কাইফল’খ্যাত ব্রিটিশ চিত্রনাট্যকার পিটার মরগ্যান। অ্যাং লি ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে ছবিটি তৈরি করতে চান, যাতে ছবিটি দেখে দর্শকের মনে হয় তাঁরা যেন বক্সিং রিংয়ের ভেতরেই আছেন।আলীর সমসাময়িক আরেকজন বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা জো ফ্রেজিয়ার। সত্তরের দশকে বহুবার বক্সিংয়ের রিঙে ঝড় তুলে ইতিহাস গড়েছেন জো ও আলী। এই দুই হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত হবে নতুন এ ছবি। অবশ্য এখন পর্যন্ত ছবিটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকা।এ প্রসঙ্গে চিত্রনাট্যকার পিটার মরগ্যান বলেন, ‘থ্রিডি ফরম্যাটে ছবিটির শুটিংয়ের পাশাপাশি জো ও আলীর শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের ভিডিও ফুটেজও যুক্ত করা হবে। বক্সিং রিংয়ের ভেতর জো এবং আলীর লড়াইয়ের সময় নৃশংসতার চিত্র ফুটে উঠবে এই ছবিতে। আশা করছি, সামনের বছরেই ছবিটির চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হবে।’এর আগে মোহাম্মদ আলীর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আলী’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০১ সালে। মাইকেল ম্যান পরিচালিত ছবিটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন উইল স্মিথ।এই মহাবিশ্বে আমাদের পৃথিবী-সদৃশ বিভিন্ন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। এবার মার্কিন গবেষকেরা জানালেন যে, তাঁরা পৃথিবী সদৃশ লাভার তৈরি একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।বিজ্ঞানীরা আমাদের এই মহাবিশ্বে প্রায় পৃথিবীর সমান ভর ও ঘনত্ববিশিষ্ট যে লাভা দিয়ে তৈরি গ্রহটির খোঁজ পেয়েছেন তা পৃথিবী থেকে ৪০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। এ গ্রহটি আমাদের সৌরজগতের মতো একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।গবেষকেরা এ লাভা গ্রহের নাম দিয়েছেন ‘কেপলার ৭৮বি’। তাঁরা বলছেন, ‘কেপলার ৭৮বি’ নামের এ লাভা গ্রহটির সঙ্গে পৃথিবীর গঠনেও মিল রয়েছে। এ গ্রহটি আমাদের পৃথিবীর মতো লোহা ও পাথুরে উপাদানে গঠিত।‘নেচার’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এই গ্রহ সম্পর্কিত গবেষণা নিবন্ধ। নাসার কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহটির খোঁজ পেয়েছেন গবেষকেরা। এটি মাতৃ-তারার খুব কাছে থাকায় এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেক বেশি, প্রায় দুই হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এত তাপমাত্রার কারণে গ্রহটির বাইরের দিকটি একটি লাভার স্তরে আবৃত। গবেষকেরা তাই একে লাভা গ্রহ বলছেন।টানা ৭১ ঘণ্টার অবরোধ শেষে গতকাল শুক্রবার মহাসড়কে দূরের পথে যাত্রা শুরু করে বিপাকে পড়েছে যাত্রীরা। টানা এত দীর্ঘ সময়ের সড়ক, রেল ও নৌ অবরোধের কারণে আটকে পড়া মানুষের গন্তব্যে ফেরার চাপ ছিল সড়কের গাড়িতে। তবে হঠাৎ করে গতকাল রাত ১০টার দিকে আজ ভোর ছয়টা থেকে আবার ৭২ ঘণ্টার অবরোধ ডাকায় এসব যাত্রী দুর্ভোগে পড়ে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কমির্জাপুর, পাকুল্যা, করটিয়া, লাটিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গতকাল রাত থেকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ১৮-দলের ৭১ ঘণ্টার টানা অবরোধ শেষে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে পুলিশ, চালক ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন।এ মহাসড়কের দুই পাশে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী। গতকাল বিকেল থেকে শুরু হওয়া যানজট আজ বেলা আড়াইটায় পাওয়া শেষ খবর পর্যন্ত ছিল। চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৭২ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কে এ যানজট দেখা যায়।পুলিশ জানায়, ১৮-দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি শেষে গতকাল ভোর পাঁচটার পর থেকে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কালিয়াকৈরে রেল ওভারব্রিজের ওপর প্রাইভেট কার ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে যানজট আরও বাড়তে থাকে।আজ সকালে মহাসড়ক ঘুরে যানজটে আটকে পড়া হাজার হাজার যাত্রীর সীমাহীন দুর্ভোগের চিত্র দেখা যায়। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পচনশীল পণ্যবাহী অনেক ট্রাকও যানজটে আটকে আছে। পুলিশের সহায়তায় থেমে থেমে যানবাহন চললেও একটু দূরে গিয়ে তা আবার আটকে যাচ্ছে।যানজটে আটকে পড়া এক যাত্রী জানান, দুই-তিন ঘণ্টার পথ ১২ ঘণ্টায়ও পার হওয়া যায়নি। যাত্রীরা সারা রাত মহাসড়কেই কাটিয়েছে। ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী নাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে তিনি মির্জাপুরের পাকুল্যা পার হয়েছেন। অথচ ভোর ছয়টার দিকেই তার দিনাজপুরে পৌঁছার কথা ছিল।মির্জাপুরের গোড়াই মহাসড়ক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যোবাইদুল আলম বলেন, টানা পাঁচ দিন অবরোধের পর যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে পুলিশ।দৌলতদিয়া ঘাটবিআইডব্লিউটিসি ও দৌলতদিয়া ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৭২ ঘণ্টার অবরোধ শেষে অনেকেই মনে করেছিলেন রোববারের আগে অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচি থাকছে না। এ কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহন নদী পাড়ি দেওয়ার জন্য দৌলতদিয়ায় গিয়ে আটকা পড়ে। গতকাল সারা দিন দৌলতদিয়ায় গাড়ির লম্বা লাইনের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি আজ ভোররাত পর্যন্ত নদী পাড়ি দিতে পারলেও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক ও ক্যাভার্ড ভ্যান এখনো পার হতে পারেনি।সাতক্ষীরা থেকে আসা ট্রাকচালক জোনাইদ হোসেন আজ দুপুরে আলাপকালে জানান, ‘গতকাল দুপুরে ঘাটে পৌঁছে লম্বা সিরিয়ালে পড়ি। ভাবছিলাম, শনিবার অবরোধ বা হরতাল নাই। তাই খুব বেশি চিন্তা ছিল না। রাতে জানতে পারি আজ ভোর থেকে আবার ৭২ ঘণ্টার অবরোধ হচ্ছে। তখন তো মাথা খারাপ হয়ে গেল। এখন ভাবছি, নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়ায় গিয়ে বসে থাকব।’গাজীপুর থেকে মাল বোঝাই করে খুলনার উদ্দেশে যাওয়া ট্রাকচালক রিমন শেখ জানালেন, গতকাল সন্ধ্যার আগে পাটুরিয়ায় পৌঁছে সারা রাত সিরিয়ালে থেকে আজ ভোরে নদী পাড়ি দিয়েছেন। এখন তিনি দৌলতদিয়া ঘাটে আছেন। সম্ভব হলে আজ রাতে তিনি রওনা দেবেন। কখন গন্তব্যে পৌঁছাবেন তা জানেন না।বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া থেকে ৬৬৫টি ট্রাক, ৬৮০টি যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস ও ৫২০টি ব্যক্তিগত গাড়ি নদী পার হয়েছে। দুপুরের আগ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও ক্যাভার্ড ভ্যান পারাপারের অপেক্ষায় ছিল, সেগুলো পার হচ্ছে।(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন টাঙ্গাইল অফিস, মির্জাপুর ও গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি)একাকিত্বের অবসান ঘটাতে যাচ্ছেন গীতিকার, গায়ক ও সংগীত পরিচালক শফিক তুহিন। ‘প্রথম আলো’র সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, ‘নতুন বছরেই বিয়ের কাজটি সেরে ফেলতে চাই। অনেক দিন তো একাকী জীবন কাটালাম। এবার একটু সংসারে মনোযোগ দিতে চাই। পরিবার থেকেও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। মাঝে গানের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে বিয়ে নিয়ে ভাবা সম্ভব হয়নি।’এদিকে নতুন বছরে আরও কি প্রত্যাশা করছেন জানতে চাইলে শফিক তুহিন বলেন, ‘২০১৩ সালে আমার প্রাপ্তি নিয়ে অনেক বেশি সন্তুষ্ট আমি। তাই ২০১৩ সালের প্রাপ্তি নিয়ে নতুন বছরে চলচ্চিত্রে আরও ভালো মানের কিছু কাজ করতে চাই।’গানের বাজারের এখনকার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু তার পরও বেশ খোশমেজাজে শফিক তুহিন। তিনি বলেন, ‘১৩ সংখ্যাটিকে আনলাকি বলে জানতাম। অথচ আমার বেলায় এই ২০১৩ সালটি সত্যি অনেক লাকি। এ বছরই আমি সংগীতের দীর্ঘ পথচলায় পূর্ণতা পেয়েছি। কাজের পরিধি বেড়েছে, দুটি বড় স্বীকৃতিও পেয়েছি। সবই আসলে সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা।’২০১৩ সালে শফিক তুহিন অর্জন করেছেন প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তৃতীয়বারের মতো সিটিসেল-চ্যানেল আই সংগীত পুরস্কার। এ বছরেই শুরু করেছেন চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনার কাজও।শফিক তুহিনের সংগীতের ক্যারিয়ার প্রায় এক যুগের। শুরুর দিকে গীতিকবি হিসেবে কাজ করলেও চলতি সময়ে তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সফলতা দেখিয়েছেন। এ বছর শফিক তুহিন ‘অন্য রকম ভালোবাসা’, ‘পোড়ামন’ ও ‘তবুও ভালোবাসি’ ছবিগুলোর সংগীত পরিচালনা করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও দুই আলোচিত ছবি ‘অগ্নি’ এবং ‘দবির সাহেবের সংসার’।সম্প্রতি ‘ময়নামতি’ ও ‘মনের মত মানুষ পেলাম না’ ছবির টাইটেল গানসহ কুমার বিশ্বজিত্ এর একক অ্যালবামে এবং ইরিন জামানের অ্যালবামে দুটি করে গান রচনা ও সুর করেছেন শফিক তুহিন। |
মডেল-টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কুসুম শিকদার অনেক বছর ধরেই মিডিয়ায় কাজ করছেন। এর মধ্যে অনেকের সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন। কিন্তু নায়করাজ-খ্যাত রাজ্জাকের সঙ্গে কোথাও অভিনয়ের সুযোগ হয়নি তাঁর। এবারই প্রথম সেই সুযোগ পেলেন তিনি। রাজ্জাকের সহশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত কুসুম। ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় নাটকটির নাম ‘থট রিডার’। এরই মধ্যে নাটকটির শুটিং শেষ করেছেন কুসুম।প্রথম আলো ডটকমকে কুসুম বলেন, ‘সত্যিই আমি অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। অনেক চমত্কার একটি নাটক। নাটকে আমি ও রাজ্জাক আংকেল চিকিত্সকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমাদের দুজনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় পর কিছু জটিলতা তৈরি হয়। আসলে গল্পের পুরোটা বলতেও চাচ্ছি না। এতটুকু বলতে পারি, নাটকটি দেখার পর দর্শকদের অনেক ভালো লাগবে।’কুসুম আরও বলেন, ‘আমি এমনিতে নাটকের কাজ খুব একটা করি না। গল্প, নির্মাতা এবং নিজের অভিনীত চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ থাকলে অভিনয় করতে সম্মত হই। “থট রিডার” নাটকের গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে। তাই কাজটি করতে রাজি হয়েছি। তা ছাড়া সহশিল্পী হিসেবে রাজ্জাক আংকেলের সঙ্গে অভিনয়েরও একটা ইচ্ছে পূরণ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’উল্লেখ্য, ইমপ্রেস টেলিফিল্মস প্রযোজিত ‘লালটিপ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কুসুম শিকদার মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে যৌথভাবে সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছেন।গুগলের ডাটা সেন্টারে মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরদারির অভিযোগ ওঠায় খেপেছে অনুসন্ধান সেবাদাতা গুগল। সম্প্রতি সিআইএ-এর সাবেক কর্মী অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন মার্কিন গোয়েন্দাদের গুগল ও ইয়াহুর ডাটা সেন্টারের যন্ত্রপাতি ও অপটিক কেবল হ্যাক করার তথ্য ফাঁস করেছেন।ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্নোডেন দাবি করেছেন যে, মার্কিন গোয়েন্দারা গুগল ও ইয়াহুর ডাটা সেন্টার সরাসরি হ্যাক করার পরিবর্তে ফাইবার অপটিক কেবল হ্যাক করে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।এ প্রসঙ্গে গুগলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গুগল কর্তৃপক্ষ তাদের ডাটা সেন্টার থেকে মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অবগত ছিল না।এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান কিথ আলেকজান্ডার দাবি করেছেন, তাঁদের কাছে গুগল ও ইয়াহুর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটার ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ নেই।ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এনএসএ প্রধান জানিয়েছেন ‘যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভারে ঢুকে তথ্য নেওয়ার অনুমতি আমাদের নেই।’তবে গোয়েন্দাপ্রধান গুগল ও ইয়াহুর সার্ভার হ্যাক করে তথ্য নেওয়ার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেননি।অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনের নতুন তথ্য-বোমাস্নোডেন সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরদারির তথ্য ফাঁস করে জানিয়েছেন, গুগল ও ইয়াহুর মতো ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ রেকর্ড ঘেঁটে দেখেন গোয়েন্দারা। সরাসরি ডাটা সেন্টার হ্যাক করার পরিবর্তে ডাটা সেন্টারে ব্যবহূত ফাইবার অপটিক কেবল ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতি থেকে এসব ডাটা সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। এসব ডাটা এনক্রিপটেড ডাটা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোথাও থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং পরে তা গোয়েন্দাদের ‘মাসকুলার’ নামে গোপন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং এসব তথ্যে নজরদারি করা হয়। এর আগে ‘প্রিজম’ নামে মার্কিন গোয়েন্দাদের গোপনে আড়িপাতার তথ্য ফাঁস করেছিলেন স্নোডেন।প্রিজমনিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা ধারণা করেন ২০০৭ সালের পর থেকে ‘প্রিজম’ নামের গোপনে আড়ি পাতার কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই গোপনে আগি পাতার কর্মসূচি চালু করেছিলেন। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পরিবর্তে অনলাইনে থাকা সব রকম তথ্যের দখল নিতে পারে গোয়েন্দারা। ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ান পত্রিকায় ‘প্রিজম’ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হয়।যেসব প্রতিষ্ঠানে আড়ি পাতা হচ্ছেওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, মাইক্রোসফট, ইয়াহু, গুগল, ফেসবুক, পালটক, এওএল, স্কাইপ, ইউটিউব, অ্যাপলের পাশাপাশি ড্রপবক্সের মতো নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির বাইরে নয়।স্বীকার-অস্বীকারসম্প্রতি অভিযোগ সম্পর্কে গুগলের প্রধান আইনবিষয়ক কর্মকর্তা ডেভিড ড্রুমান্ড জানিয়েছেন, ‘গোয়েন্দাদের নজরদারির জন্য গুগলের পক্ষ থেকে মার্কিন সরকারকে কেনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। তবে, দীর্ঘদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতিতে আড়ি পাতার বিষয়টি নিয়ে সচেতন রয়েছে গুগল। ডেভিড ড্রুমান্ড আরও জানান, আমরা গুগলের সেবাগুলোতে নজরদারি ঠেকাতে এনক্রিপশন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছি। নজরদারির তথ্য ফাঁস হওয়ায় আমাদের মনে হচ্ছে আমাদের আমার জরুরি ভিত্তিতে সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং প্রয়োজনে ঢেলে সাজাতে হবে।’গুগলের মুখপাত্রের মতো একই সুরে ইয়াহুর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তাদের ডাটা সেন্টারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই গোয়েন্দা ও অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনকে অস্বীকার করেছেন মার্কিন গোয়েন্দাদের একজন মুখপাত্র।নজরদারিতে বিশ্বনেতারাএর আগে ২৫ অক্টোবর যুক্তরারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) ও এনএসএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথির ভিত্তিতে বার গার্ডিয়ান পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) অন্তত ৩৫ জন বিশ্বনেতার ফোনে আড়ি পেতেছিল। ওই নথিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার একজন কর্মকর্তা ফোনে আড়িপাতার জন্য ২০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামের তালিকা এনএসএকে সরবরাহ করেন। এর মধ্যে ওই ৩৫ জন বিশ্বনেতার নামও ছিল। এর মধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ব্রাজিলের নেতাদের নাম রয়েছে। এরই মধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন নেতাদের বিষয়ে গোয়েন্দাগিরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখাও জানতে চেয়েছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ আড়িপাতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, নিয়মিতই এ কাজ করত এনএসএ। বিশ্বনেতাদের তথ্যে নজরদারি তথ্য ফাঁসের জের কাটতে না কাটতেই আবারও স্নোডেন জানালেন গুগল ও ইয়াহুর ডাটা সেন্টার হ্যাক করার তথ্য।দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সুশীল সমাজের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, তাঁরা (সুশীল সমাজ) রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ করেন। রাষ্ট্রপতি কী করবেন? প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া তাঁর কোনো কাজ নেই, ক্ষমতাও নেই।আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।শেখ সেলিম বলেন, ‘সাংবিধানিক সংকট আগে ছিল, এখন আর নেই। সুশীল সমাজের দাবি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। অসাংবিধানিক লোকেরা ক্ষমতায় আসবে। আমরা তা হতে দেব না।’বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, ‘এক মিনিটে সমস্যার সমাধান হবে সংবিধানের কোন ধারায় লেখা আছে?’ তিনি আরও বলেন, ড. কামাল জাতির অনেক ক্ষতি করেছেন। তাঁর অনেক “এক মিনিটে”র কাহিনি আছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ সেলিম।সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি গোপালগঞ্জের নাম পাল্টে দেবেন। তিনি শুধু তা করবেন কেন? বাংলাদেশের নাম পাল্টে তিনি বাংলাস্থান করে দেবেন।’আজ মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানদের সংগঠন এমটব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আজ এ কথাবলেন। সেখানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সম্মাননা দেওয়া হয়। শাজাহান খান বলেন, আজকে বিএনপিকে ভর করতে হয় জামায়াতে ইসলামীর ওপর। তাদের কোনো মেরুদণ্ড নেই। কারণ, জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ বেতারকে পাকিস্তানি ভাবধারায় রেডিও বাংলাদেশ করেছিলেন। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ করেছিলেন।ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, যেখানে বোমা ফুটবে, মানুষ মারা যাবে। এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে। যখন সারা দেশের মানুষ নির্বাচন নিয়ে উত্সব করবে তখন তাঁরা দেশের মানুষকে অবরুদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে। অবরোধ হয়েছে কার বিরুদ্ধে?মেনন আরও বলেন, ‘আমরা সর্বশেষ তাঁদের “গণতন্ত্রের অভিযাত্রা”র কথা শুনলাম। খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, সেই অভিযাত্রায় লাখ লাখ মানুষ আসবে। সেখানে হাজারও নয় ১০০ মানুষও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সুশীল সমাজের অনেকে মাঝখানে হাঁটার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বলতে চাই জঙ্গিবাদ দিয়ে গণতন্ত্র হয় না। সুতরাং, গণতন্ত্রের বাগান থেকে জঙ্গিবাদের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। একদিকে সংবিধান সমুন্নত রাখা, নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, জঙ্গিবাদ দমন করা—এই তিনটিই আমাদের কাজ। তিনটি কাজ একসঙ্গে পালন করতে হবে, একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটি নয়।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব আবু বক্কর সিদ্দিক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, এমটবের মহাসচিব নুরুল কবির, মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন, এম এ মাজেদ প্রমুখ।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ৩২৩ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্মাননা স্বরূপ একটি করে স্মার্টফোন ও তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সিম তুলে দেওয়া হয়। |
অক্সিটেক নামে যুক্তরাজ্যের একটি বায়োটেকনোলজি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নতুন প্রজাতির মাছি তৈরি করেছে যা প্রাকৃতিক উপায়ে মাছির বংশবৃদ্ধি রোধ করতে পারে। জিন প্রকৌশল ব্যবহার করে বিশেষ একধরনের মাছির নতুন প্রজন্ম তৈরি করেছেন গবেষকেরা যা অলিভ গাছকে মাছির অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে পারবে।গবেষকেরা নতুন প্রজন্মের এ মাছির একটি জিন পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এতে করে মেয়ে মাছি লার্ভা অবস্থায় বা একেবারে ছোট অবস্থায় মারা যাবে আর পুরুষ মাছি পরিবর্তিত জিনসহ বড় হলেও বংশবিস্তার করতে পারবে না।বিজ্ঞানবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘নিউ সায়েন্স’ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন নতুন প্রজাতির মাছির সাহায্য নিয়ে ৭০ দিনের মধ্যেই অলিভ গাছের মাছির প্রজন্ম ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব।গবেষকেরা বলেন, মাছির লার্ভা অলিভ ফলের বিশাল ক্ষতি করে। প্রতি বছর ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়েন স্পেনের অলিভ চাষিরা।মাছির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের বায়োটেকনোলজি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অক্সিটেকের গবেষকেরা ব্রাজিলে ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার রোধে মশা নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের দাবি, জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে মশার বংশবিস্তার রোধ করার প্রক্রিয়ায় ৯৬ শতাংশ সাফল্য এসেছে।গবেষণায় সাফল্যের পরেও এই পদ্ধতিতে বংশবৃদ্ধি ঠেকিয়ে দেওয়ার ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে অক্সিটেককে। অনেকেই বলছেন এ পদ্ধতি নিরাপদ নয়।এ প্রসঙ্গে অক্সিটেকের প্রধান নির্বাহী হাডিন প্যারি জানিয়েছেন, প্রচলিত কীটনাশকের চেয়ে এ পদ্ধতি অনেক বেশি নিরাপদ ও বাস্তবসম্মত।বিরোধী দলের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ‘কোনো ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে আমাদের আলোচনায় বসানো যাবে না। কোনো অন্যায় দাবি আমরা গ্রহণ করব না।’আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পদ্ধতি হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে যেকোনো সময় যাদের প্রয়োজন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে উদগ্রীব। কিন্তু আলোচনা কোনো ভীতিকর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে—এটা আমাদের কাম্য নয়। আলোচনায় গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা ভীত নই।’মন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে এই আলাপ-আলোচনার মোড়কে বিরোধী দল তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার যে অপচেষ্টা করছে, দেশবাসী তা বুঝতে পেরেছে।এর আগে মন্ত্রী কচুয়া উপজেলার সাচার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।ফেরদৌস-মৌসুমী অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ মুক্তি পেয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। সম্প্রতি আবারও এ জুটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলো। ‘লিডার’ নামের ছবিটি পরিচালনা করবেন প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের সহকারী শিমুল।সাধারণ একটি ছেলের ঘটনাচক্রে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা এবং তার উত্থান-পতনের গল্পেই নির্মিত হবে ‘লিডার’ চলচ্চিত্রটি। গত মঙ্গলবার থেকে ফরিদপুরে ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবরোধের কারণে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশেষ লোকেশন ও এফডিসিতে এর শুটিং হবে।প্রসঙ্গত, ফেরদৌস ও মৌসুমী জুটির দুই ডজনেরও বেশি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। এ জুটি অভিনীত বড় মাপের সফল চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘খায়রুন সুন্দরী’ ছবিটি। ফেরদৌস এখন তাঁর প্রযোজনায় নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘এক কাপ চা’ ছবিটি মুক্তি দেওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে ভাবছেন। অন্যদিকে মৌসুমী নতুন বছরে তাঁর পরিচালনায় তৃতীয় চলচ্চিত্রটির কাজ নিয়ে ভাবছেন বলে জানা গেছে।রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় গত সোমবার বিস্ফোরক বহনকারী দুই যুবকের ছোড়া বোমা বিস্ফোরণে নিহত নিরাপত্তাকর্মী আবুল কাশেমের পরিবারকে এক লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছে পুলিশ।আজ মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ের ডিআইজি রেঞ্জ কার্যালয়ে নিহত আবুল কাশেমের ভাই হাফিজুর রহমানকে এই টাকা দেওয়া হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ওই নগদ অর্থ দেন রেলওয়ে রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি, চলতি দায়িত্ব) মো. কামরুল আহসান। তিনি বলেন, ‘অর্থ দিয়ে জীবনের মূল্য মাপা যায় না। আমরা যে নিহতের পরিবারের পাশে আছি, এই আর্থিক অনুদান তারই প্রমাণ।’ এ সময় ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সরদার সাহাদাত আলী, আরএনবির কমান্ডার জহির উদ্দিন, কমলাপুর রেলওয়ে রেঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুর রহমান ও নিহতের কয়েকজন আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।নিহত আবুল কাশেমের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উজানি গ্রামে। ওই দিন তিনি স্টেশন ইয়ার্ডের ১৭ নম্বর বিটে দায়িত্ব পালন করছিলেন। |
একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার আরও ৫৯ জন বিদেশি ব্যক্তিত্ব ও একটি বিদেশি সংগঠনকে সম্মাননা জানাবে সরকার। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল এ সম্মাননা প্রদান করবেন।আজ সোমবার তথ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম এ কথা জানান ।৫৯ জনের মধ্যে ভারতের ৪৪ জন, পাকিস্তানের চারজন, যুক্তরাষ্ট্রের চারজন, যুক্তরাজ্যের দুজন, জাপানের দুজন, শ্রীলঙ্কার একজন, তুরস্কের একজন ও মিসরের একজন রয়েছেন। আর সংগঠনটি হলো মিসরভিত্তিক সংগঠন আফ্রো-এশিয়ান পিপলস সলিডারিটি অরগানাইজেশন।৫৯ জনের মধ্যে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দকে দেওয়া হবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’। বাকি ৫৭ জন এবং সংগঠনটিকে দেওয়া হবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’।প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ সরকারের আমলে এটিই সর্বশেষ সম্মাননা।এর আগে ছয় দফায় মোট ২৭৮ জন বিদেশিকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।চীনের কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভোতে প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিয়েছেন মার্কিন অভিনেতা ও প্রযোজক অ্যাস্টন কুচার। সম্প্রতি লেনোভো তাঁদের নতুন কর্মী হিসেবে অ্যাশটন কুচারের নাম টুইটারে প্রকাশ করেছে।প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল এক খবরে জানিয়েছে, লেনোভো কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি অ্যাস্টন কুচারের পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরি করেছে যাতে কুচারের পদবি হিসেবে প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ার লেখা রয়েছে।অভিনেতা, মডেল, প্রযোজক হিসেবে পরিচিতির পাশাপাশি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে অ্যাস্টন কুচারের খ্যাতি রয়েছে। সিলিকন ভ্যালির তারকা উদ্যোক্তাদের মধ্যে কুচার অন্যতম। বিভিন্ন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন তিনি। ‘টু অ্যান্ড অ্যা হাফ ম্যান’ খ্যাত কুচার টুইটারের শুরুর দিকেই এটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন।সম্প্রতি অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জবস’-এ স্টিভ জবসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।অভিনয়, প্রযোজনা, উদ্যোক্তা পরিচয়ের পাশাপাশি এবার লেনোভোর প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদেও এলেন অ্যাস্টন।বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে তাঁরা রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান।পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদলটি বিএনপির দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে।বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের নামে এখানে এসে যা দেখলাম, তা বর্বর সমাজেও সম্ভব হয় না। যেখানে বিরোধীদলীয় নেতার চেয়ারটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এটি গণতন্ত্রের প্রতি পদাঘাত।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘জোর করে নির্বাচন করতে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমরা তা চাই না।’প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্র ও দেশকে বাঁচান, নিজে বাঁচুন। দমননীতিতে সাময়িক ক্ষমতায় থাকা যাবে, কিন্তু পরিণতি ভয়াবহ হবে।’ বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিতর্কিত করতে সরকার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করছে ও আগুন দিচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক নেতা সৈয়দ আবদাল আহমদ, আবদুল হাই শিকদার, রুহুল আমিন গাজী, আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, ড্যাব নেতা রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিণারায়ণপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে রাকিবুল ইসলাম (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের একটি গোরস্থান থেকে পুলিশ রাকিবুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।নিহতের পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা রাকিবুলকে হত্যা করেছে। সে বেরবাড়াদি গ্রামের প্রবাসী রিয়াজুল হকের ছেলে।পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাকিবুল গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাইসাইকেল নিয়ে স্থানীয় হরিণারায়ণপুর বাজারে যায়। বেলা দুইটার দিকে সে হেঁটে বাড়ি ফিরে যায়। তাঁর মা সাইকেলের কথা জিজ্ঞেস করলে সে জানায় হারিয়ে গেছে। পরে সে আবার বাড়ি থেকে বের হয়। বেলা তিনটার পর থেকে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। আজ সকালে এলাকার লোকজন পার্শ্ববর্তী শিবপুর গ্রামের গোরস্থানে রাকিবুলের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা রাকিবুলকে রাতের কোনো একসময় হত্যা করেছে। তার গলায় পাঁচ-ছয়টি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করা হচ্ছে। |
হাজারো তালাশের পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেটে নিজেকেও খোঁজেন। নিজের নাম লিখে গুগল সার্চে বসিয়ে নিজেকে নিয়ে সার্চ দিলে গুগলে কী তথ্য দেখায় তা পরীক্ষা করে দেখেন।মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের এক জরিপে দেখা গেছে ইন্টারনেটে নিজেকে খুঁজে ফেরেন ৫৬ শতাংশ ব্যক্তি। এক যুগ আগে অর্থাত্ ২০০১ সালে এই হার ছিল মাত্র ২২ শতাংশ। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল এ তথ্য জানিয়েছে। ইন্টারনেটের সার্চ বক্সে নিজের নাম লিখে সার্চ দিয়ে তথ্য পরীক্ষা করার বিষয়টিকে আগের দিনে বলা হত ‘ভ্যানিটি সার্চ’। তবে পরবর্তীতে নিজের ডিজিটাল কার্যক্রম অনলাইনে পরীক্ষা করার জন্য এ বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।গবেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে অনলাইনে নিজের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ এখন কারও বিষয়ে তথ্য পেতে ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া হয়।এখন নিজের সম্পর্কে তথ্য পেতে বা কারও সম্পর্কে কোনো কিছু জানতে গুগলের সাহায্য নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে বহুগুণে।সাংসদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেছেন, রাজনীতি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোনীর ফলে রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে থাকবে না।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর স্মরণে আয়োজিত সভায় মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন। ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন এর আয়োজন করে।মওদুদ আহমদ আরপিওর সংশোধনীর বিরোধিতা করে বলেন, যাঁরা প্রচুর টাকা নিয়ে দলে যোগ দেবেন, তাঁরাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। আগে বিধান ছিল, দলীয় মনোনয়ন পেতে হলে তিন বছর ওই দলের সদস্য থাকতে হবে। এখন এই বিধান বাদ দেওয়ায় রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে থাকবে না।নির্বাচন কমিশনকে সরকারের ‘এজেন্ট’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা এখন যে বিধিমালা তৈরি করছে তাও অর্থহীন। জনগণ এ আরপিও চায় না। এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা নেই বলে তিনি দাবি করেন।দুই নেত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, এত তিক্ততার পরও যে দুই নেত্রীর মধ্যে কথা হয়েছে, এটা খুশির খবর। জনগণ এটাকে স্বাগত জানিয়েছে। পরে এটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। আসলে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফোন করেননি—দাবি করে মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণকে দেখানোর জন্য ফোন করেছেন। তিনি ২১ আগস্ট, বিরোধীদলীয় নেতার জন্মদিন, লাল টেলিফোন—এসব নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেছেন। এসব অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলে আসল উদ্দেশ্যকে হতাশ করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।ঢাকা কলেজে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আসাদুজ্জামান ফারুক নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন।জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা কয়েকটি গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। ফারুক মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত একটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকেরা ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় আহত আরও তিনজন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলো ডটকমকে জানান, এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।এদিকে ফারুকের মৃত্যু সংবাদে পঞ্চগড়ে তাঁর বাড়িতে চলছে মাতম। তাঁর বাড়ি পঞ্চগড় শহরের পঞ্চগড় চিনিকল কলোনিতে। নিহত ফারুক চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। একমাত্র ছোট ভাই অলিউল ইসলাম রুয়েটের শিক্ষার্থী এবং ছোট বোন আলো পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ঢাকা কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ফারুক স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে চাকরির পরীক্ষার জন্য ১০ দিন আগে ঢাকায় আসেন তিনি।ফারুকের বাবা মুনির হোসেন চিনিকল জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন। তিনি জানান, ‘হোস্টেলে গিয়ে চাকরির জন্য পড়াশোনা করবে, এমন কথা বলে ফারুক ঢাকায় যায়। চাকরি নিয়ে পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করার কথা। দুদিন আগেও মুঠোফোনে বাড়ির খোঁজখবর নিয়েছে।’মুনির হোসেন আরও বলেন, ‘অনেক কষ্টে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছি। আশা ছিল বড় ছেলে চাকরি পেলে সংসারের অভাব দূর হবে। আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করত না। কেন তাকে জীবন দিতে হলো। আমি এর বিচার চাই।’গোপালগঞ্জের নাম বদলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলা নেননি আদালত।আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক। কিন্তু সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা না করায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ওই অভিযোগটি নাকচ করে দেন।২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। তবে ওই দিন পুলিশি বাধার মুখে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যদের ধমক দেন। বাড়ি গোপালগঞ্জ কি না, জানতে চান।সেখানে উপস্থিত পুলিশের কিছু নারী সদস্য নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকলে তাঁদের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘এই যে মহিলা, মুখটা এখন বন্ধ কেন? এতক্ষণ কী বলছিলেন? মুখ বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালি? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। আপনারা যা করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।’ |
নতুন মুঠোফোন কিনতে যাচ্ছেন? মুঠোফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কী ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে সে বিষয়গুলো আপনার অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোন ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের ওপর নানা প্রভাব পড়ে। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি নিয়ে গবেষণাও হচ্ছে। একাধিক গবেষণার ফলের বরাতে হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যায় পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।হারানোর ভয়মুঠোফোন সব সময় ঠিক জায়গায় আছে কিনা তা নিয়ে মন সব সময় সতর্ক থাকে। মোবাইল হারানো ভয় থেকে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক সমস্যা। গবেষকেরা মুঠোফোন ও সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর এই ভয়জনিত অসুখের নাম দিয়েছেন ‘নোমোফোবিয়া’; যার পুরো নাম ‘নো মোবাইল-ফোন ফোবিয়া’। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ৫৩ শতাংশ এবং ২৯ শতাংশ ভারতীয় তরুণরা এ রোগের শিকার। ৫ বছর আগেও যে রোগের অস্তিত্ব কল্পিত ছিল না, আধুনিকতার সে রোগ নিয়ে দেশে-বিদেশে চিন্তিত মনোবিজ্ঞানী-মহল। অতিরিক্ত মুঠোফোন নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে পরামর্শ দেন গবেষকেরা।ঘুমের মধ্যে বার্তা পাঠানোমোবাইল ফোন ব্যবহার করে অতিরিক্ত সময় বার্তা পাঠানো, চ্যাটিং করার ফলে ঘুমের মধ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। হতে পারে ‘স্লিপ টেক্সটিং’ সমস্যা। এ সমস্যা হলে রাতে ঘুমের মধ্যে কাকে কী বার্তা পাঠানো হয় তা আর পরে মনে থাকে না। বার্তা পাঠানোর বিষয়টি মাথায় থাকে বলে ঘুমের মধ্যেও হাতের কাছে থাকা মুঠোফোন থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরে বার্তা চলে যায়। মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ আর মুঠোফোন নিয়ে অনেকের দিন কাটে। এমন অবস্থায় স্লিপ টেক্সটিং ঘটতে পারে। রাতে বিছানার পাশে মুঠোফোন না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।কমতে পারে চোখের জ্যোতিযুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে দৃষ্টি বৈকল্য সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে মায়োপিয়া বা ক্ষীণ দৃষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাধারণত চোখ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে তা ব্যবহার করেন। তবে, অনেকের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার। সংবাদপত্র, বই বা কোনো কিছু পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত চোখ থেকে গড়ে ৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব থাকে। চোখের খুব কাছে রেখে অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে জিনগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষীণদৃষ্টি সৃষ্টির জন্য যা ভূমিকা রাখতে সক্ষম। গবেষকেরা একে ‘এপিজেনেটিকস’ সংক্রান্ত বিষয় বলেন। গবেষকেরা দীর্ঘক্ষণ ধরে স্মার্টফোনে চোখ না রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। দৈনিক কিছু সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তাঁরা। স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা।কানে কম শোনামুঠোফোন ব্যবহারের ফলে কানের সমস্যা তৈরির বিষয়টি অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে। হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চশব্দে গান শুনলে অন্তকর্ণের কোষগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে এবং মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক আচরণ করে। একসময় বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।শরীরের অস্থি-সন্ধিগুলোর ক্ষতিঅতিরিক্ত সময় ধরে মেসেজ বা বার্তা টাইপ করা হলে আঙুলের জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হতে পারে এবং অবস্থা বেশি খারাপ হলে আর্থরাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও অনেকে অনেকেই কাজের সময় মুঠোফোন ব্যবহার করতে গিয়ে কাঁধ ও কানের মাঝে ফোন রেখে কথা বলেন। অনেকেই অতিরিক্ত ঝুঁকে বসে দীর্ঘ সময় ধরে বার্তা পাঠাতে থাকেন। বসার ভঙ্গির কারণেও শরীরে নানা অসুবিধা দেখা দিতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ধরে মুঠোফোনে বার্তা লিখবেন না, এতে করে শরীরের জয়েন্ট বা সন্ধির সমস্যা থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন।কমে যেতে পারে শুক্রাণুগবেষকেরা জানান, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এই ক্ষতিকর তরঙ্গের সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্যানসারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ ছাড়া শরীরের অন্য কোষকলা এই ক্ষতিকর তরঙ্গের প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। গবেষকেদের দাবি, মুঠোফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।যখন তখন রিং টোন!এ সমস্যা মূলত উদ্বিগ্নতা বা বিষণ্নতা থেকে ঘটতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে ব্যবহারকারী ফোনের রিং না বাজলে কিংবা ভাইব্রেশন না হলেও হঠাত্্ করেই তা শুনতে পান বা অনুভব করেন। অতিরিক্ত মুঠোফোন ব্যবহারের কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা ভুগতে শুরু করলে তা টেরও পান না অনেক ব্যবহারকারী।ঘুম নেই!স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখার ফলে সবচে বেশি দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা। যারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এ ধরনের প্রযুক্তি-পণ্য অতিমাত্রায় ব্যবহার করেন তাদের শরীরে মেলাটোনিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে; যার কারণ প্রযুক্তিপণ্য থেকে নির্গত উজ্জ্বল আলো। এক পর্যায়ে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয় এবং স্লিপ ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি তৈরি হয়।টয়লেট সিটের চেয়েও নোংরামার্কিন গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, টয়লেট সিটের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে মুঠোফোনে। মুঠোফোন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এটি জীবাণুর অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। গবেষকেরা বলেন, মুঠোফোনে ব্যাকটেরিয়াগুলো ব্যবহারকারীর জন্য খুব বেশি ক্ষতিকারক না হলেও এটি থেকে সংক্রমণ বা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। নিয়মিত মুঠোফোন পরিষ্কার করলে এ সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পর এবার ঢাকার দর্শকদের মাতাতে আসছে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ তারকা ভিন ডিজেল অভিনীত ব্লকবাস্টার ছবি ‘রিডিক’। ১ নভেম্বর স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মুক্তি পাওয়া এ ছবি যেমন দর্শকদের মন জয় করেছে, তেমনি ব্যবসায়িক সাফল্যও পেয়েছে। তিন কোটি ৮০ লাখ ডলার বাজেটের ছবিটি মুক্তির প্রথম তিন দিনের মধ্যেই আয় করেছে এক কোটি ৮০ লাখ ডলার। লাগাতার তিন সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে শীর্ষে থাকার পর ‘দ্য বাটলার’কে টেক্কা দিয়ে ‘রিডিক’ আয় করেছে সাত কোটি ৩০ লাখ ডলার, যেখানে ‘দ্য বাটলার’-এর আয় ছিল দুই কোটি ৪৩ লাখ ডলার।সায়েন্স ফিকশন সিরিজ ‘দ্য ক্রনিকলস অব রিডিক’-এর প্রথম ছবি ‘পিচ ব্ল্যাক’ মুক্তি পায় ২০০০ সালে। এই সিরিজের তিনটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ভিন ডিজেল। অভিনয়ের পাশাপাশি এ ছবিতে অর্থলগ্নিও করেছেন তিনি। এ জন্য তাঁকে বাড়ি বন্ধক রাখার ঝুঁকিও নিতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘যদি এ ছবির কাজ শেষ করতে না পারতাম, তাহলে আমার বাড়িটি খোয়া যেত এবং আমি ছিন্নমূলে পরিণত হতাম।’ ছবি সম্পর্কে ডিজেল বলেন, ‘ছবিটি প্রযোজনা করে আমি আনন্দিত। গত ১০ বছরে দর্শক আমাকে এমন ছবিতে দেখেননি।’মাথায় একটা চুলও নেই এমন পেশিবহুল অভিনেতা হলিউডে অনেক। কিন্তু ভিন ডিজেল এই তালিকায় আছেন সবার ওপরে। কারণ তাঁর অভিনীত ছবি দিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার অ্যাকাউন্টে জমা করেছে হলিউডের স্টুডিওগুলো। অথচ ৩০ বছর আগে রাস্তার পাশে নেচে জীবিকা নির্বাহ করতেন ভিন ডিজেল। তিনি বলেছিলেন, ‘কখনো ভাবিনি হলিউডে নিজের জন্য আলাদা একটা স্থান তৈরি করতে পারব।’সম্প্রতি হলিউড ওয়াক অব ফেমে স্থান পেয়েছেন ভিন ডিজেল। ক্যারিয়ারের ২৩ বছরে এসে এমন বিরল সম্মাননা পেলেন তিনি। হলিউডে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালে ‘অ্যাওয়েকিংস’ ছবির মাধ্যমে। ১৯৯৩ সালে ‘শিন্ডলার্স লিস্ট’ ছবিটি দেখে ডিজেল এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের কাছে মনের কথা জানিয়ে তিন পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠির ভাষায় মুগ্ধ হয়ে স্পিলবার্গ আমন্ত্রণ জানান ডিজেলকে। সেই সুবাদে ১৯৯৮ সালে স্পিলবার্গ পরিচালিত ‘সেভিং প্রাইভেট রায়ান’ ছবিতে প্রাইভেট আদ্রিয়ান ক্যাপারজো চরিত্রটি পেয়ে যান ভিন ডিজেল। ছবিটি তাঁকে তারকাখ্যাতি এনে দেয়। এরপর ডিজেল উপহার দিয়েছেন ‘পিচ ব্ল্যাক’, ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’, ‘ট্রিপল এক্স’, ‘ক্রনিক্যালস অব রিডিক’সহ আরও অনেক ব্যবসাসফল ছবি। ‘দ্য ফাস্ট অ্যান্ড দ্য ফিউরিয়াস’-এর জন্য এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছেন ভিন ডিজেল। টিন চয়েজ, পিপল’স চয়েজ, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডসহ আরও অনেক পুরস্কারও ঝুলিতে ভরেছেন ৪৬ বছর বয়সী এ তারকা অভিনেতা।যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের টুসন এলাকায় মা ও সত্বাবার বাড়িতে দুই বছর ধরে বন্দী থাকার পর দুই বোন গত মঙ্গলবার পালিয়ে যায়। দুই বোনের অভিযোগ, মা ও বাবা তাদের ওই বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন। গতকাল শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ কথা জানানো হয়।এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তাদের আরও এক বোনকে ওই বাড়ির একটি ঘর থেকে আটক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।উদ্ধার হওয়া তিন বোনের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বড় বোনের বয়স ১৭, মেজো বোনের ১৩ ও ছোট বোনের ১২ বছর।খবরে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ছোট দুই বোন জানালা দিয়ে বের হয়ে দেয়াল টপকে প্রতিবেশীর বাড়িতে পালিয়ে যায়। তারা অভিযোগ করে, সত্বাবা তাদের শয়নকক্ষের দরজায় অনবরত লাথি মারতেন এবং ছুরি দিয়ে ভয় দেখাতেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই ঘর থেকে ১৭ বছর বয়সী বড় মেয়েটিকে উদ্ধার করে।পুলিশের ভাষ্য, তিনটি মেয়েই অপুষ্টির শিকার। তাদের খুব নোংরা অবস্থায় পাওয়া গেছে। মেয়েগুলো ছয় সপ্তাহ গোসল করেনি। যে বাড়িটিতে তারা ছিল, সেটি প্রতি মুহূর্তে ক্যামেরার মাধ্যমে কড়া নজরদারিতে রাখা হতো। ঘরগুলো ছিল শব্দরোধী। বাড়িটিতে সারাক্ষণ উচ্চৈঃ শব্দে গান বাজত, যাতে ঘরের কোনো শব্দ বাইরে যেতে না পারে। মেয়েরা প্রায় দু বছর একে অপরের মুখ দেখেনি।মেয়েদের মা সোফিয়া রিচার (৩২) ও সত্বাবা ফারনান্দো রিচারের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার এবং অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।বাড়িটি থেকে বড় মেয়েটির লেখা একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে ১৮ মাসের বন্দিদশা ও অত্যাচারের বিশদ বর্ণনা রয়েছে।বর্ষবরণ উত্সব উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আজ প্রথমবারের মতো মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও বলিউডের অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। বছর শেষের দিনটিতে মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি পাচ্ছেন এক কোটি রুপি।বেঙ্গালুরুর ক্যাপিটাল ক্লাব রিসোর্টে আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রথম মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছেন পুনম। এরই মধ্যে এক কোটি রুপির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।কানাড়া ছবি ‘লাভ ইজ পয়জন’-এর একটি আইটেম গানে দেখা যাবে পুনমকে। এরই মধ্যে গানটির শুটিংয়ের কাজ শেষ করেছেন তিনি। আয়োজকদের চাহিদা অনুযায়ী আজ সেই গানটির সঙ্গেই মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নেবেন ২২ বছর বয়সী এই ‘নাশা’ তারকা। পুরোদস্তুর পেশাদার তারকার মতোই মঞ্চ পরিবেশনার আগে মহড়ার পেছনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন পুনম।প্রথম মঞ্চ পরিবেশনার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুনম বলেন, ‘আমি আমার দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। চোখের সামনে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখতে পারব—এটা ভাবতেই শিহরিত হচ্ছি আমি। আশা করছি, সবাই মিলে দারুণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে পারব।’ পুনম মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নিতে রাজি হওয়ায় দারুণ খুশি ‘লাভ ইজ পয়জন’ ছবির প্রযোজক শেখর কে। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘আমাদের ছবির গানের সঙ্গে পুনম মঞ্চ পরিবেশনায় অংশ নিতে রাজি হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।‘লাভ ইজ পয়জন’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে। মুক্তির আগেই ছবিটি আলোচনায় আসে এর মূল অভিনেতা রাজেশের রহস্যজনক মৃত্যুর কারণে। গত নভেম্বর মাসে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজেশের কাছের কয়েকটি সূত্রের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছিলেন রাজেশ। |
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় দায়ের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী জামিন পেয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই তিনি।আজ সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ এম এ মোস্তফার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন গিয়াস কাদের চৌধুরী। আদালত তা মঞ্জুর করেন।বাদীর আইনজীবী মোরশেদুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় উচ্চ-আদালত থেকে জামিনে ছিলেন গিয়াস কাদের চৌধুরী। মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। মামলার মূল নথি না থাকায় শুনানি না করে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল হাশেম জামিনের বিরোধিতা করেন।মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে গত ৫ আগস্ট রাঙ্গুনিয়ার একটি মানববন্ধনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গিয়াস কাদের চৌধুরীসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করে মামলা দায়ের করে।সপ্তাহের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে ঢাকার শেয়ারবাজারে। দুপুর ১২টায় লেনদেনের দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর ফলে সূচক বাড়ায় ডিএসইর সূচক চার হাজার পয়েন্ট ছুঁয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টায় ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,০০২ পয়েন্টে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। সূচকের ঊর্ধ্বমুখী এই প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।এই সময়ে ডিএসইতে ২৫৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৬৭টির দাম বেড়েছে; কমেছে ৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো, অ্যাপেক্স অ্যাডেলচি ফুটওয়্যার, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, ইউসিবিএল, মালেক স্পিনিং, আরগন ডেনিমস, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, এনভয় টেক্সটাইল, বিএটিবিসি, গোল্ডেনসন প্রভৃতি।তারকাদের বক্স অফিস সাফল্য, খবরের শিরোনাম হওয়ার সামর্থ্য, পণ্যের দূতিয়ালিতে সাফল্য, জনপ্রিয়তাসহ নানা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে টাইমস সেলেবেক্স প্রকাশ করা হয় প্রতি মাসে। দুই শতাধিক পত্রিকা এবং আড়াই শরও বেশি টেলিভিশন চ্যানেল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বলিউডের সেরা তারকাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। অক্টোবর মাসে এ তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন রণবীর কাপুর ও ক্যাটরিনা কাইফ।৪৫ পয়েন্ট পেয়ে বলিউডের সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন রণবীর কাপুর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন অক্ষয় কুমার (৪৪ পয়েন্ট) ও সালমান খান (৪০.২ পয়েন্ট)। সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।তালিকায় সেরা দশে ঠাঁই পাওয়া অন্য অভিনেতারা হলেন হূতিক রোশন (৩৮ পয়েন্ট), শাহরুখ খান (৩৭ পয়েন্ট), অমিতাভ বচ্চন (২৮ পয়েন্ট), আমির খান (২০ পয়েন্ট), সাইফ আলী খান (১৮.৫ পয়েন্ট), ইমরান খান (১৬.৫ পয়েন্ট) ও রণবীর সিং (১৫.৮ পয়েন্ট)।অন্যদিকে ৩৮ পয়েন্ট পেয়ে অক্টোবর মাসে বলিউডের সেরা অভিনেত্রীর আসন দখল করেছেন ক্যাটরিনা কাইফ। সামান্য ব্যবধানে ক্যাটরিনার পরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন কারিনা কাপুর খান। তিনি পেয়েছেন ৩৭.৫ পয়েন্ট। ৩৬ পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।তালিকায় সেরা দশে ঠাঁই পাওয়া অন্য অভিনেত্রীরা হলেন দীপিকা পাড়ুকোন (৩২ পয়েন্ট), ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন (২৮ পয়েন্ট), সোনাক্ষী সিনহা (২১ পয়েন্ট), কঙ্গনা রানাউত (২০ পয়েন্ট), সোনম কাপুর (১৭.৩ পয়েন্ট), অদিতি রাও হায়দারী (১৭ পয়েন্ট) ও মাধুরী দীক্ষিত (১৬ পয়েন্ট)। ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে দায়িত্বরত এই কূটনীতিককে গ্রেপ্তারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের দীর্ঘ সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরলেও পিছপা হতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়।মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, মার্কিন একটি সূত্র জানিয়েছে ডেপুটি কনস্যুলার জেনারেল দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে আরও বেশি পরিমাণ তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার বা গ্রেপ্তারের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আগামী ১৩ জানুয়ারি দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।গৃহকর্মী সংগীতা রিচার্ডকে ভিসায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া ও কম মজুরি দেওয়ার অভিযোগে ১২ ডিসেম্বর দেবযানী খোবরাগাড়েকে তাঁর সন্তানের সামনে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে বিবস্ত্র করে তল্লাশি ও মাদকাসক্তদের সঙ্গে একই কক্ষে রেখে হয়রানি করা হয়েছে বলে ভারত অভিযোগ তোলে। দেবযানীর সঙ্গে এমন আচরণ ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন দাবি করে এর প্রতিবাদে ভারতীয় নেতারা ভারত সফরে যাওয়া মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি। তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে ভারতে মার্কিন কূটনীতিক ও সংশ্লিষ্টদের সুযোগ সুবিধা বাতিলসহ নানা পদক্ষেপ নেয়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দেবযানীকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দিতে জাতিসংঘে বদলি করে।ভারত সরকার ও গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনার মুখে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দেবযানীকে হয়রানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে জানিয়ে দেন, দেবযানীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তকাজ চলবে। তবে দেবযানী তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বরং গৃহকর্মী সংগীতার বিরুদ্ধে চুরি ও ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ এনেছেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। |
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে ঢাকার শেয়ারবাজারে। দুপুর ১২টায় দেড় ঘণ্টা শেষে ডিএসইতে ৯৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময় ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টায় ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯৪০ পয়েন্টে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।এই সময়ে ডিএসইতে ২৭৩ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৪৫টির, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা, কনটিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, বিএসসিসিএল, সিএমসি কামাল, আরগন ডেনিমস, রহিমা ফুড, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, আফতাব অটো, ইউনাইটেড এয়ার, বিএসসি প্রভৃতি।রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ফিরে এসেছেন পুরোনো ক্লাব এসি মিলানে। দেরিতে হলেও মৌসুমের প্রথম গোলের দেখা পেয়ে গেলেন কাকা। তবে জয় পায়নি মিলান। সিরি ‘আ’তে গত রাতে লাৎসিওর সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কাকাদের।ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। গোলের দেখা মেলে ৫৪ মিনিটে গিয়ে। মারিও বালোতেল্লির কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক শটে মিলানকে এগিয়ে দেন কাকা। ৭২ মিনিটের মাথায় লাৎসিওকে সমতায় ফেরান চিয়ানি। বাকি সময়ে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই।রিয়ালে যোগ দেওয়ার আগে মিলানের হয়ে কাকা সর্বশেষ গোলটি করেছিলেন ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে। সেটা ছিল লাৎসিওর বিপক্ষে। রিয়াল ছেড়ে মিলানে ফেরার পর কাকার প্রথম গোলটি এল কাকতালভাবে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। সূত্র রয়টার্স।বলিউডের ছবির ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ‘কৃশ ৩’ ছবিটি ৫০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে বলেই দাবি করেছেন এর পরিচালক ও প্রযোজক রাকেশ রোশন। সুপার হিরো-নির্ভর সায়েন্স ফিকশন ঘরানার ‘কৃশ ৩’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১ নভেম্বর। মুক্তির পরপরই বক্স অফিসে সাড়া ফেলে ছবিটি। প্রথম দিনেই এর ঝুলিতে জমা পড়ে ২৫ কোটি ২০ লাখ রুপি। ৪ নভেম্বর ছবিটি আয় করে ৩৫ কোটি ৯১ লাখ রুপি। এর মাধ্যমে এক দিনে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড গড়ে ‘কৃশ ৩’।মুক্তির চার সপ্তাহের মাথায় ‘কৃশ ৩’ ৫০০ কোটি রুপি আয় করেছে ঘোষণা দেওয়ার পর রাকেশ রোশনের বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাকেশ রোশন বলেন, ‘বিনোদন শুল্কসহ সবকিছু মিলিয়ে ‘‘কৃশ ৩’’ ছবির আয়ের পরিমাণ ৫০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে গেছে।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে জিনিউজ। এখন পর্যন্ত সর্বাধিক আয়ের বলিউডের ছবির নামের তালিকায় রয়েছে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ (৩৯৫ কোটি রুপি), ‘থ্রি ইডিয়টস’ (৩৯২ কোটি রুপি), ‘এক থা টাইগার’ (৩১০ কোটি রুপি) এবং ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ (৩০১ কোটি রুপি)।কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের রোকন নওশের আলী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত নয়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড়ে শহর যুবলীগ আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে করমর্দন করে তিনি যোগদান করেন। নওশের জামায়াতপন্থী শ্রমিক সংগঠন জেলা শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সহসভাপতি।এ সময় সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ দলের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। যোগদান অনুষ্ঠানে নওশের আলী ও মাহবুব উল আলমের দুই হাত এক করে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী।সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নওশের বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করছে, যা ইসলাম সমর্থন করে না। তাই এখন থেকে তিনি আর জামায়াতের সঙ্গে নেই। স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে তিনি রাজনীতি করতে চান।এ প্রসঙ্গে আজগর আলী বলেন, নওশের আলী জামায়াতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করে নিজ থেকেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন।যোগদানের ব্যাপারে জানতে নওশের আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। পরিচয় জানার পর অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, তিনি নামাজে আছেন। বেলা দুইটার দিকে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফরহাদ হুসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াতের রাজনীতিতে আসা-যাওয়ায় কোন বিধি-নিষেধ নেই। আর যে মেয়ে বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া অন্যের হাত ধরে বেরিয়ে যায়, সেই মেয়ে বাবা-মায়ের দোষই দেবে এটাই স্বাভাবিক।’ |
১৯৪৮-৪৯ সালে একটি তিন দিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মহারাষ্ট্র ও কাটিওয়ার। প্রথম দুই দিনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৪৪৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন কাটিওয়ারের ব্যাটসম্যান ভুসাহেব নিমবালকার। আর মাত্র ৯ রান করলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন ডন ব্রাডম্যানের ৪৫২ রানের বিশ্বরেকর্ডটি। কিন্তু তৃতীয় দিনে আর ব্যাটই করতে নামেননি নিমবালকার। ইনিংস ঘোষণা করে মহারাষ্ট্রকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল কাটিওয়ার। স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান জমা হয়ে গিয়েছিল বলেই নাকি ইনিংস ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অনেককে এটাও বলতে শোনা যায় যে, তৃতীয় দিনে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল নিমবালকারের। এ জন্যই নাকি রেকর্ডের লোভে আর মাঠে নামেননি ব্যাট হাতে।কাছাকাছি ধরনেরই একটা ঘটনা ঘটেছিল ১৯৩৮-৩৯ সালে। ওই সময় টেস্ট ক্রিকেট এখনকার মতো পাঁচ দিনের ম্যাচ ছিল না। ফল নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত খেলা চলতেই থাকত। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি গড়িয়েছিল নবম দিনে। ইংল্যান্ড ব্যাটিং করছিল ৬৯৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে। ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৫৪ রান সংগ্রহও করে ফেলেছিল সফরকারীরা। কিন্তু শেষ কয়েকটা রান আর জমা করা হয়নি স্কোরবোর্ডে। ইংল্যান্ডগামী জাহাজটা ছাড়ার সময় হওয়ায় খেলা ফেলেই ছুটতে হয়েছিল ইংলিশ ক্রিকেটারদের। এটাই টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘতম ম্যাচ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ম্যাচটি খেলা হয়েছিল ২০০৯ সালে। ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ম্যাচে মাঠে গড়িয়েছিল মাত্র ১০টি বল। এর পরই মাঠের অনিরাপদ অবস্থার কথা বিবেচনা করে খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আম্পায়াররা।১৮৭৭ সালের মার্চে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত প্রথম আনুষ্ঠানিক টেস্ট ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ঠিক ১০০ বছর পর মেলবোর্নেই আরেকটি ম্যাচ আয়োজন করা হয় প্রথম সেই ম্যাচটির শতবর্ষ উদযাপনের জন্য। অদ্ভুতভাবে এবারও জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ঠিক ওই ৪৫ রানের ব্যবধানেই। অদ্ভুত পুনরাবৃত্তিই বটে!একই দিনে চারটা ইনিংস মাঠে গড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে। ২০০০ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচে দেখা গেছে এই বিরল ঘটনাটা। টেস্ট ক্রিকেট এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে এই একবারই।ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী একই বোলার পর পর দুটি ওভার বল করতে পারেন না। কিন্তু এমন নজিরও আছে ক্রিকেট ইতিহাসে। ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কাজটা করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের অ্যালেক্স মোইর। চা-বিরতির ঠিক আগের ও পরের ওভারে বল করেছিলেন এই কিউই বোলার। এমন ঘটনা এর আগে ঘটেছিল আর একবারই। ১৯২১ সালের অ্যাশেজ সিরিজের একটি টেস্টে।টেস্ট ক্রিকেটে টাই ম্যাচের ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুইবার। দুটি ম্যাচের সাক্ষীই অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবার ১৯৬০-৬১ সালে ব্রিসবেনে, তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয়বারের ঘটনাটি ১৯৮৬-৮৭ সালের। সেবার মাদ্রাজে অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের।খেলার মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে অনেকেই গালমন্দ করেন প্রকৃতির খামখেয়ালকে। কিন্তু আজ যে একদিনের ক্রিকেটের এত রমরমা, এর মূলে কিন্তু আছে এই বৃষ্টির বাধা। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম যে একদিনের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেটা আদতে একটা পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচই হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টির কারণে প্রথম চার দিন পণ্ড হওয়ায় পঞ্চম দিনেই একটি একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৫ উইকেটে। একদিনের ক্রিকেটের প্রথম বলটি মোকাবিলা করেছিলেন জিওফ বয়কট। বোলার ছিলেন গ্রাহাম ম্যাকেনজি।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে অপবিত্র করেছেন। ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিদের সমাবেশে ওই উদ্যানকে পবিত্র করা হবে।আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ২২টি সংগঠনের যৌথসভায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে মায়া বলেন, ‘অস্ত্র ছেড়ে আপনারা মাঠে আসুন। আপনাদের সঙ্গে একটু খেলি। দেখি কে জেতে। জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে বিএনপির নেত্রী বহুবার শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। তাঁদের ওই হীন স্বপ্ন কখনো সফল হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আর ওই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে আসতে হবে। তা না হলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দাওয়াত একবারই হয়। আবার দাওয়াত চাইতে আপনার লজ্জা লাগে না? আমাদের দাওয়াত বহাল আছে। আপনি চাইলে আসতে পারেন।’আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ২২টি সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক সবুজের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন, উপদপ্তর সম্পাদক জামাল উদ্দিন।রাজধানীর কাফরুল থানার পূর্ব শেওড়াপাড়ায় একটি বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।বাড়ির মালিক দেলাওয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে চার-পাঁচজনের একটি দল তাঁর বাড়ির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে।২১/১-এর সি পূর্ব শেওড়াপাড়ায় বায়তুস সালাম জামে মসজিদের উল্টো পাশে বাড়িটি অবস্থিত। ওই বাড়ির দারোয়ান আবদুল মালেক জানান, দুর্বৃত্তরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাঁর কক্ষের বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা বাড়ির দ্বিতীয় ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে ওই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।মালেকের ভাষ্য, গলিতে রাতে একদল যুবক নিয়মিত মাদক সেবন করে। এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত থাকতে পারে বলে তাঁর ধারণা।এ ব্যাপারে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, এখন থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।এ বছর সবচেয়ে বেশি দান করে ‘পরোপকারী তারকা’ তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন মার্কিন গায়িকা ও গীতিকার টেইলর সুইফট। ১৩ ডিসেম্বর ছিল সুইফটের ২৪তম জন্মদিন। ওই দিন মার্কিন অর্কেস্ট্রা ন্যাশভিলে সিম্ফনিকে এক লাখ ডলার দান করেছেন সুইফট। ব্যক্তিগত দানের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তহবিল গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন টেইলর সুইফট। এ বছর লন্ডনে উইন্টার হোয়াইটস গালা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন ‘ইউ বিলং উইথ মি’খ্যাত এ তারকা সংগীতশিল্পী। দাতব্য অনুষ্ঠানটি থেকে অর্জিত আয় যুক্তরাজ্যের গৃহহীন মানুষদের আবাসন সমস্যা সমাধানে ব্যয় করা হয়েছে। জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।তালিকায় সুইফটের পরেই আছেন ব্রিটিশ ব্যান্ডদল ওয়ান ডিরেকশনের সদস্যরা। যুক্তরাজ্যের কমিক রিলিফ দাতব্য সংস্থার সঙ্গে মিলে ঘানায় দাতব্য কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছে ওয়ান ডিরেকশন। দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যান্ডটির সদস্যরা আট লাখ ডলারেরও বেশি তহবিল গঠনে অবদান রেখেছেন।তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন মার্কিন গায়িকা-গীতিকার ও অভিনেত্রী বিয়ন্স নোলস। তাঁর পরেই রয়েছে সম্প্রতি প্রয়াত ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ তারকা পল ওয়াকারের নাম। পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন মার্কিন গায়ক জুটি ম্যাকেলমোর ও রায়ান লুইস।তালিকায় সেরা দশে ঠাঁই পাওয়া অন্য তারকাদের মধ্যে রয়েছেন সান্ড্রা বুলক, কেরি ওয়াশিংটন, ইয়ান সমারহেলডার, রায়ান সিক্রেস্ট এবং ক্যারি আন্ডারউড। |
ভারতের বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদবসহ ৪৫ জন আসামি আলোচিত গবাদিপশুর খাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আগামী ৩ অক্টোবর তাঁদের চূড়ান্ত দণ্ড ঘোষণা করবেন আদালত।টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ সোমবার রাঞ্ছির বিশেষ সিবিআই আদালত লালুপ্রসাদ যাদবসহ ৪৫ জন আসামিকে অপরাধের ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি ও প্রতারণার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।১৯৯৬ সালে বিহার রাজ্যে গবাদিপশুর খাদ্য কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসে। তখন লালুপ্রসাদ ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ১৯৯৭ সালে পদত্যাগ করেন লালুপ্রসাদ।১৭ বছর ধরে মামলাটি চলার পর আজ সংশ্লিষ্ট আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন আদালত।যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে জনপ্রিয় সাররাহচাহ ব্র্যান্ডের মরিচের হট সস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলীয় ছোট্ট শহর ইরউইনডল কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।গত সোমবার ওই মামলা করা হয়। শহর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সসের জন্য মরিচ প্রক্রিয়াকরণের সময় এ থেকে ঝাঁজাল ঘ্রাণে শহরবাসীর চোখ জ্বালা করে পানি ঝরার মতো দুর্ভোগ পোহাতে হয়।শহরের কর্মকর্তারা জানান, আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির একটি আদালতে যাবেন। সেখানে তাঁরা হুই ফং ফুডসকে তাৎক্ষণিকভাবে সাররাহচাহ ব্র্যান্ডের মরিচের কারখানায় উত্পাদন বন্ধ রাখতে আদালতের আদেশ চাইবেন।লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ২০ মাইল পূর্বে মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে ইরউইনডল শহর কর্তৃপক্ষ সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ পান। সে সব অভিযোগে বলা হয়, প্রচণ্ড ঝাঁজাল মরিচের গন্ধে শহরবাসীর চোখ ও গলায় জ্বালাপোড়া হয় এবং মাথাব্যথা করে।এরই মধ্যে শহরের কর্তৃপক্ষ কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরে। তবে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে হুই ফং ফুডসের মালিক ডেভিড ট্রান স্থানীয় রেডিও স্টেশন কেপিসিসিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, কারখানার ছাদ দিয়ে বাতাস বের হয়ে যাওয়ার জন্য ফিল্টার বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মরিচ ও রসুনের ৯০ শতাংশ ঘ্রাণ শোষণ করে নেয়।লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের মতে, কোম্পানিটি প্রতিদিন দুই লাখ বোতল হট সস তৈরি করে। গত বছর কোম্পানিটি ছয় কোটি টাকার ওপর ব্যবসা করে। লাল রঙের সাররাহচাহ হট চিলি সস স্বচ্ছ প্লাস্টিকের বোতলে বিক্রি করা হয়। কয়েক বছরে এটি যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বোতলজাত সসের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের প্রধান বাসস্ট্যান্ডের কাছে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে ইসরাইল হোসেন (২৪) নামের একজন নিহত হয়েছেন।ইসরাইল শিবিরের কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র। তাঁর বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিনদিয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম শহীদুল ইসলাম।কোটচাঁদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মদ্যপ গাড়িচালকদের জন্য বিশেষ পরিবহন-সেবা কর্মসূচি চালু হয়েছে।নিউইয়র্কের ট্যাক্সি এবং লিমোজিন কমিশনের সহযোগিতায় ‘রেড নোজ’ নামের এই পরীক্ষামূলক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।এ কর্মসূচিতে মদ্যপ ব্যক্তিটিকে নির্দিষ্ট নম্বরে পরিবহন-সেবার জন্য ফোন করতে হবে।পরে কমিশনের অনুমোদিত একটি গাড়ি অতিরিক্ত একজন চালকসহ দ্রুত এসে ওই মদ্যপ ব্যক্তিকে বাড়িতে দিয়ে আসবে।অতিরিক্ত চালক মদ্যপ ব্যক্তির গাড়িটির পেছনে পেছনে চালিয়ে সেবাগ্রহীতার বাড়িতে পৌঁছে দেবে।এ সেবাগ্রহীতাকে নিয়মের দ্বিগুণ ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।উত্সবের এ মৌসুমে নিউইয়র্কে প্রচুর মানুষ গাড়ি নিয়ে আসেন।আনন্দ উত্সব আর পানাহারের পর অনেকের অবস্থাই বেসামাল হয়ে পড়ে।মাতাল অবস্থায় নিজের গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে তাঁদের জন্য।মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর পরিণামে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ কারাবাসের আশঙ্কা থাকে।আর মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ফলে এ মৌসুমে সড়ক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির সংখ্যাও বেড়ে যায়।গত সপ্তাহ থেকে চালু হওয়া ‘রেড নোজ’ কর্মসূচি আপাতত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চালু থাকবে।নিউইয়র্কের ট্যাক্সি চালক সমিতির নেতা ভৈরবি দেশাই জানিয়েছেন, রেড নোজ কর্মসূচি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।দুর্ঘটনাজনিত প্রাণহানি এবং পুলিশি ঘাপলা এড়াতে পেরে সেবাগ্রহীতারাও খুশি।বাংলাদেশি ক্যাবচালক ছমির উদ্দিন ‘প্রথম আলো’কে জানান, রেড নোজ কর্মসূচি চালু হওয়ার পর নিউইয়র্কে ক্যাবচালকদের কাজের পরিধি বেড়েছে।নিউইয়র্কে পাঁচ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ক্যাব চালানোর পেশায় নিয়োজিত আছেন। |
কিছুটা বিতর্কের মধ্যেই পড়ে গেছেন লিওনেল মেসি। আয়কর ফাঁকির অভিযোগে স্প্যানিশ আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এরই মধ্যে আর্জেন্টাইন তারকার ভাবমূর্তিতে কালি পড়ে গেছে স্পেন থেকে প্রকাশিত এক বইয়ের মাধ্যমে।‘এল মিস্তোরিয়ো ডি মেসি’ (ইংরেজিতে মিস্ট্রি অব মেসি) নামের ওই বইয়ে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা থেকে সুইডিশ তারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের বিদায়ে নাকি মুখ্য ভূমিকা ছিল মেসির। আর্জেন্টাইন তারকাই নাকি ‘ষড়যন্ত্রের জাল বুনে’ ইব্রাহিমোভিচের মন বিষিয়ে তুলেছিলেন। পরিণতিতে বার্সা ছেড়ে চলে যান এই তারকা। কিছুদিন আগে স্প্যানিশ গণমাধ্যমে একটা খবর বেরিয়েছিল, মেসি নাকি ড্রেসিংরুমে জুনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে ‘স্বেচ্ছাচারী’ আচরণ করেন।মিস্তোরিয়ো ডি মেসিতে ইব্রা-মেসির সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০০৯ মৌসুমে ইব্রাহিমোভিচ বার্সায় আসার পর নাকি কোচ গার্দিওলা মেসির চেয়ে সুইডিশ তারকার ওপরই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন। প্রথম একাদশে তিনি ইব্রাহিমোভিচকেই বেশি রাখতেন। এমন একটা পরিস্থিতিতে মেসি একদিন নিজের মোবাইল দিয়ে গার্দিওলাকে খুদেবার্তা পাঠান। বার্তায় লেখা ছিল, ‘পেপ, একটা ব্যাপার বুঝতে পারছি, ইব্রা আসার পর বার্সায় মনে হচ্ছে আমার আর বিশেষ দরকার নেই।’ মেসির খুদেবার্তায় বেশ বিচলিত হয়ে পড়েন বার্সার সাবেক কোচ।দোটানায় পড়ে তিনি ইব্রাহিমোভিচকে একাদশের বাইরে ঠেলা শুরু করেন। ব্যাপারটি বুঝতে পেরে ইব্রাহিমোভিচও অবাক হয়ে যান। একদিন ড্রেসিংরুমে তিনি গার্দিওলার সঙ্গে খুব বাজে আচরণও করেন। একটি ম্যাচের আগে ব্রিফিং করার সময় ইব্রাহিমোভিচ বলে বসেন, ‘দেখুন, আমি একজন ফরোয়ার্ড। সুইডিশ জাতীয় দলে খেলি। আমি জানি কীভাবে খেলতে হয়। আমার পরামর্শের কোনো প্রয়োজন নেই।’ এ ঘটনায় অবশ্য বিচলিত না হয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন গার্দিওলা।ঘটনার পর কোচের গুডবুকের বাইরে চলে যান ইব্রাহিমোভিচ। ডাগ আউটই হয় তাঁর ঠিকানা। মৌসুম শেষে তিনি যেন বার্সেলোনা ছেড়ে বাঁচেন।বইয়ে প্রকাশিত তথ্যের ব্যাপারে অবশ্য বার্সেলোনা কিংবা মেসির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বার্সা আপাতত ব্যস্ত মেসির চোট নিয়ে। আলমেইরার বিপক্ষে হাঁটুর চোট যে আবার মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে মেসিকে! সূত্র: ওয়েবসাইট।সম্প্রতি ব্ল্যাকবেরি বিক্রির জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ধর্ণা দিয়েছেন ফেসবুকের কাছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ব্ল্যাকবেরির কর্মকর্তারা সম্প্রতি ফেসবুকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। এসময় ব্ল্যাকবেরি কেনার কোনো আগ্রহ রয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন তাঁরা। অবশ্য ব্ল্যাকবেরি কিনে নিতে কোনো আগ্রহ দেখিয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষকে সম্ভবত জাকারবার্গের কাছ থেকে নিরাশ হতে হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এখনও আশা ছাড়েনি।মার্কিন বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ব্ল্যাকবেরি কিনে নিলে ফেসবুকের জন্য হয়তো কাজটি সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েডকে ধরা। এক্ষেত্রে ব্ল্যাকবেরি তাদের চিন্তায় নাও আসতে পারে।এদিকে সম্প্রতি ‘ফেসবুক হোম’ নামে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন উন্মুক্ত করেছে ফেসবুক। এইচটিসি ওয়ান স্মার্টফোনের জন্য উন্মুক্ত করা এ অ্যাপ্লিকেশনটি অ্যান্ড্রয়েড হোম স্ক্রিনের পরিবর্তে আলাদা হোমস্ক্রিন তৈরি করে। তবে এ সফটওয়্যারটি জনপ্রিয়তা পায়নি।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ¯্মার্টফোন ব্যবসায় ধুঁকতে থাকা ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে গুগল, সিসকো, এসএপির মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ব্ল্যাকবেরির স্মার্টফোন ব্যবসার পুরো অংশ বা অংশবিশেষ বেচতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। ব্ল্যাকবেরি আশা করছে নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো একটি কিনে নেবে ব্ল্যাকবেরিকে। এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারে প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফেয়ারফ্যাক্স ফাইন্যান্সিয়াল হোল্ডিংস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হচ্ছেন প্রেম ওয়াটসা নামের একজন ধনকুবের। বর্তমানে ব্ল্যাকবেরির সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক ফেয়ারফ্যাক্স। ফেয়ারফ্যাক্সের প্রস্তাব নিয়ে ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে গুগল, ইনটেল, এলজি, স্যামসাং, সিসকো, এসএপির সঙ্গে আলোচনা করছে ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষ।বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, একসময় বাজারের জনপ্রিয় স্মার্টফোন নির্মাতা ব্ল্যাকবেরি অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর স্মার্টফোন, আইফোন ও উইন্ডোজ ফোনের সঙ্গে বাজারে পেরে উঠছে না। দীর্ঘদিন ধরেই ব্ল্যাকবেরিকে লাভের ধারায় ফেরাতে চেষ্টা করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। রিম নাম থেকে ব্ল্যাকবেরি নাম দেওয়া, নতুন অপারেটিং সিস্টেমের উন্নয়ন এবং নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনা সত্ত্বেও ব্ল্যাকবেরি ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়ে এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্ণা দিয়ে বেড়াচ্ছে।সদ্যই ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন আধুনিক কালের ব্র্যাডম্যান। ‘ছেলেটি আমার মতোই খেলে’, টিভি পর্দায় শচীন টেন্ডুলকারের মোহনীয় শর্টগুলোয় মোহিত হয়ে ডন ব্র্যাডম্যান স্ত্রী জেসিকে এমনটিই বলেছিলেন। দুই কালের দুই ব্র্যাডম্যানের মধ্যে অনেক সময়ই মিল খোঁজা হয়েছে। একটা বড় মিল, ব্র্যাডম্যান আর টেন্ডুলকার—দুজনেরই অভিষেক হয়েছিল নভেম্বরেই।দুজনই অভিষেক টেস্টটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি কোনো ব্যাটিং কীর্তি দিয়ে। টেন্ডুলকার একমাত্র ইনিংসে করেছিলেন ১৫ রান। ১৯২৮ সালের ৩০ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল ব্র্যাডম্যানের। ব্রিসবেনের সেই ম্যাচটিতে ব্র্যাডম্যান করেছিলেন ১৮ ও ১!মাত্র নয়টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেই ২০ বছর বয়সী ব্র্যাডম্যান জায়গা করে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া দলে। কিন্তু ক্যারিয়ারটিকে রূপকথা বানিয়ে ফেলা ব্র্যাডম্যানের অভিষেকটা সুখকর ছিল না। নিজে শুধু ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলেই নয়, দলও হেরেছিল ৬৭৫ রানের বিশাল ব্যবধানে! যা কিনা এখনো রান হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয়ের রেকর্ড। ফলাফল? পরের টেস্টেই বাদ পড়েন! সেবারের অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টেই অবশ্য আবার ফিরেছিলেন। এবার ফিরেই সেঞ্চুরি। মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংসে ব্র্যাডম্যান করেছিলেন ৭৯ ও ১১২। অবশ্য তার পরও হেরেছিল দল। ৩ উইকেটের সেই পরাজয় ৫ ম্যাচের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়াকে পিছিয়ে দিয়েছিল ৩-০ ব্যবধানে।শুধু তা-ই নয়, অস্ট্রেলিয়া উত্তেজনাপূর্ণ চতুর্থ টেস্টে মাত্র ১২ রানে হেরে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জার সামনে। সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ করা ব্র্যাডম্যান দলকে কিন্তু জয়ের আশাই দেখাচ্ছিলেন। ৭ উইকেটে ৩২০ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আর ২৯ রান। কিন্তু অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্র্যাডম্যানের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি অস্ট্রেলিয়া।পঞ্চম ও শেষ টেস্টে অবশ্য ধবলধোলাই এড়াতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। আবারও মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করেন ব্র্যাডম্যান। প্রথম ইনিংসে ১২৩ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই সাজঘরে ফিরেছিলেন। তরুণ ব্র্যাডম্যানে সওয়ার হয়েই সেবার অ্যাশেজে ধবলধোলাইয়েল লজ্জায় পড়তে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে।১৯০৮ সালের ২৭ আগস্ট নিউ সাউথওয়েলসে জন্ম নেওয়া ব্র্যাডম্যানের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার শুরু শৈশব থেকেই। কিশোর ব্র্যাডম্যান ক্রিকেট অনুশীলন করতেন ক্রিকেট স্ট্যাম্প আর গলফ বল দিয়ে। ১১ বছর বয়সে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। ১২ বছর বয়সে হাঁকান সেঞ্চুরিও।১৯২১ সালে সিডনিতে বাবার সঙ্গে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ দেখতে গিয়ে বলে ছিলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি এই মাঠে না খেলছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমি শান্তি পাব না।’ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা নিয়ে জন্মানো ব্র্যাডম্যান ঠিকই খুঁজে পেয়েছিলেন সেই ‘শান্তি’। ১৯৩০ সালে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে করে ছিলেন অপরাজিত ৪৫২ রান। যা ছিল ওই সময়ের সর্বোচ্চ। ১৯৩১ সালেই উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাবও জেতেন।শুরুর এই ধারাবাহিকতা ২০ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে ধরে রেখেছিলেন। তাই তো তাঁর ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪, যা ক্রিকেটীয় কিংবদন্তি হয়ে আছে। এমনকি কিংবদন্তি হয়ে আছে তাঁর শেষ টেস্টে করা শূন্যটিও!৫২ টেস্টে ২৯টি সেঞ্চুরি আর ১৩ ফিফটিসহ ৬৯৯৬ রান করেছিলেন। ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩৩৪ রান করেছিলেন ১৯৩০ সালে লিডসে। একই মাঠে চার বছর পর আরও একটি ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। আছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৯৯ রানের অপরাজিত একটি ইনিংসও।আজকের এই দিনে অভিষেক হয়েছিল ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানটির। ক্রিকেট ইতিহাসে ৩০ নভেম্বর দিনটাও যেন তাই অন্য রকম!সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আগামী ২ জানুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক জরুরি সভায় সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে ওই সভা হয়। সমিতির নেতৃত্বে আছেন বিরোধী দলের সমর্থক আইনজীবীরা।মোহাম্মদ আলী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পবিত্রতা ও আইনের শাসন রক্ষায় আপস করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি রক্ষায় আগামী ২ জানুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ওই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সমিতি। |
ফন্দি-ফিকির করে ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের খবর নেই, উল্টো সরকারের কাছে আরও অর্থ চেয়ে একের পর এক আবেদন করে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় অর্থ লুণ্ঠনের দায়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী হল-মার্ক। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে হল-মার্ক গত ছয় মাসে একই দাবিতে অন্তত তিন দফা আবেদন করেছে।যে ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে হল-মার্ক, এমনকি সেই সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষও হল-মার্ককে আরও অর্থ দেওয়ার পক্ষে। কেন দেওয়া দরকার, সেই যুক্তি তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিগগিরই সোনালী ব্যাংক একটি চিঠি দেবে বলেও জানা গেছে।হল-মার্কের তিন আবেদনের মধ্যে দুইটি অর্থমন্ত্রীর কাছে এসেছে হল-মার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে। আরেকটি আবেদন করেছেন হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।যোগাযোগ করলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কর্মসংস্থানের স্বার্থে কারখানা চালুর জন্য আরও অর্থ চেয়ে হল-মার্কের পক্ষ থেকে কয়েকটি আবেদন এসেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো উপায় বের করা যায়নি।’মূলত গত ২৭ মার্চ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী ‘হল-মার্কের কারখানাগুলো চালু করতে এদের আরও ঋণের দরকার’—এমন বক্তব্য দেওয়ার পর থেকেই হল-মার্ক আরও অর্থ চেয়ে অর্থমন্ত্রীরই শরণাপন্ন হচ্ছে।জানা গেছে, হল-মার্কের সব আবেদনেরই ভাষা প্রায় একই রকম। এতে বলা হচ্ছে, হল-মার্ক গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা চালু করার জন্য তাদের আরও অর্থ দরকার। আর তা দরকার মূলত ৪০ হাজার সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান ও জীবিকার জন্য। কারখানাগুলো চালু করা গেলে টাকা পরিশোধ তাদের জন্য কঠিন হবে না বলেও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়।হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর স্বামী তানভীর মাহমুদ, ব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল), তাঁর ভাই তুষার আহমেদ এবং কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যাংক-কর্মকর্তাসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। তবে, দুদক সম্প্রতি গঠিত অভিযোগপত্রে ২৫ জনকে দায়ী করে, যাঁদের মধ্যে একজনও সরকারের নিয়োগ করা সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য নেই।যদিও গভর্নর আতিউর রহমান গত বছর এ কেলেঙ্কারির জন্য সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সদস্যরাও দায় এড়াতে পারেন না বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনসংবলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন।জেসমিন ইসলামসহ মামলার কয়েকজন আসামি জেলে থাকা অবস্থায় গত ৪ আগস্ট জেসমিন ইসলামকে মাসে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের শর্তে জামিন দেন ঢাকার দায়রা জজ জহুরুল হক। তবে, ওই আদেশের বিরুদ্ধে জেসমিন ইসলামের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করে দুদক।পরে জামিন কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। তার পর থেকে অর্থ পরিশোধ করা তো দূরের কথা, জেসমিন ইসলামই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।হল-মার্ক গ্রুপের ৪৮ কারখানার মধ্যে বর্তমানে চালু রয়েছে ২০টি। এগুলো সাব-কন্ট্রাক্টে চলছে বলে জানা গেছে।সোনালী ব্যাংক সূত্র জানায়, কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর হল-মার্কের কাছ থেকে মোট ৪১০ কোটি টাকা দায়কমাতে পেরেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।সূত্রমতে, হল-মার্কের দায়দেনার পরিমাণ এখনো দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে, দায়দেনার বিপরীতে সহায়ক জামানত হিসেবে সাভারের নন্দখালী, কালামপুর, বারবাড়িয়া ও চারিপাড়া মৌজায় প্রায় দুই হাজার ৫০০ শতাংশ জমি বন্ধক রয়েছে। তবে এসব জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে খোদ সোনালী ব্যাংকেরই কাছে।জানা গেছে, হল-মার্কের মোট জমি থেকে জেসমিন ইসলামের নিজের নামের জমি মাত্র ১২২ শতাংশ। এ থেকে রাজধানীর কাফরুল ও সাভারের কিছু জমি ছেলে কলেজপড়ুয়া ইরফান ইসলামের নামে তিনি হেবা (দান) করে দিয়েছেন।গত এপ্রিলে হল-মার্কের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন ব্যাংকের এমডি প্রদীপ কুমার দত্ত। এতে দায়দেনা নিয়মিত করে হল-মার্কের সঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুরও সুপারিশ করা হয়েছিল।সোনালী ব্যাংকের এমডি প্রদীপ কুমার দত্ত হল-মার্ক থেকে টাকা আদায়ের জন্য এ সুপারিশ করা হয়েছিল বলে প্রথম আলোকে জানান। সম্প্রতি তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে টাকা আদায়ের ব্যাপারে করণীয় জানতে চেয়ে একটি চিঠি এসেছিল। শিগগির আমরা এর জবাব দিচ্ছি।’অর্থমন্ত্রী এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হল-মার্কের বিভিন্ন ব্যবসা আছে, যেগুলো চালু হওয়া প্রয়োজন। হল-মার্ক যে টাকা নিয়ে গেছে, তা জনগণের টাকা। এ টাকা উদ্ধার করতে হবে। উদ্ধারের জন্য দরকার কারখানা চালু। আর সে জন্যই ওদের দরকার আরও ঋণ।ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি বর্তমানে আদালতের এখতিয়ারাধীন বলে মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে প্রকৃতপক্ষে তেমন কিছু করার নেই।‘আমি এমন স্পেল দেখেছি ওয়াসিম আকরামের, ওয়াকার ইউনিসের। দেখেছি ব্রেট লি, শোয়েব আখতারের। দেখেছি মুহূর্তেই ম্যাচের মোড় বদলে দিতে। ওদের ক্যারিয়ারেও এমন স্পেল আছে একটি, দুটি, কি তিনটি। সত্যি বলতে, এমন বোলিং নিয়ে আসলে বলার কিছু নেই। এসব শুধু দেখতে হয়, উপভোগ করতে হয়।’কিছু না বলেও কখনো অনেক কিছু বলা হয়। রুবেল হোসেনের পরশুর বোলিংয়ের প্রশংসায় যেমন ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার পরও যা বললেন, তাতেই বুঝিয়ে দিলেন আসলে কতটা বিধ্বংসী, কতটা অপ্রতিরোধ্য ছিলেন রুবেল। হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট বলেই শুধু নয়। কোনো বোলারের ৬ উইকেট দেখেছে ওয়ানডে ক্রিকেট আরও ৬০ বার। হ্যাটট্রিক আছে আরও ৩৩টি। কিন্তু রুবেলের বোলিংয়ে ছিল আরও বেশি কিছু। চোখের পলকেই তো ছিনিয়ে নিলেন ম্যাচ। ৬ উইকেট পেয়েছেন, কিন্তু পেতে পারতেন যেন আরও বেশি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো পেসার দেশের মাটিতে প্রতিপক্ষকে এমন কাঁপিয়ে দিচ্ছেন, সেটাই বা কে কবে দেখেছে!মাশরাফির জন্য ম্যাচটি ছিল ফেরার। আরও একবার। নিজে উইকেট না পেলেও ফেরাটা স্মরণীয় হয়ে থাকল দলের দারুণ জয় আর উত্তরসূরির দুরন্ত বোলিংয়ে। রুবেলের এই ৬ উইকেটে কিন্তু মাশরাফির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান আছে! প্রত্যক্ষ অবদান দুটি ক্যাচ। শেষ দুই উইকেট মাশরাফির ক্যাচে, শেষটি তো ছিল অসাধারণ। আর পরোক্ষ অবদানের কথা ম্যাচ শেষে বলেছিলেন রুবেল নিজেই, ‘মাশরাফি ভাই বলেছিলেন এভাবে বোলিং করে যা, তুই আজ পাঁচ-ছয় উইকেট পেয়ে যাবি।’রুবেলের কথাটা শুনে তখন খানিকটা খটকা লাগছিল। পাঁচ-ছয় উইকেট কি বলে-কয়ে হয়! সেটাও আবার একজন বোলার যেখানে করতে পারতেন সর্বোচ্চ ৭ ওভার! কিন্তু ৫.৫ ওভারেই ৬ উইকেট নিয়েছেন রুবেল। বিষয়টি নিশ্চিত করলেন মাশরাফিই। সত্যিই রুবেলকে বলেছিলেন ওই কথা! শুধু সতীর্থকে উদ্বুদ্ধ করতেই ওটা বলেননি, বলেছিলেন বিশ্বাস থেকেই, ‘ওর বল লেংথ থেকে দারুণ লাফাচ্ছিল। সাপের মতো ছোবল দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল প্রতি বলেই কিছু না-কিছু হচ্ছে। এ জন্যই ওকে বলেছিলাম, তুই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে স্রেফ এই বোলিংটা করে যা, আজ ৬ উইকেট পেয়ে যাবি।’এমনিতে রুবেল যেমন আদর্শ মানেন মাশরাফিকে, তেমনি মাশরাফিও রুবেলের গুণমুগ্ধদের একজন। টেস্ট সিরিজটা রুবেলের জন্য গেছে যাচ্ছেতাই। গণ্ডায় গণ্ডায় রান গুনে দুই টেস্টে উইকেট নিয়েছেন একটি। ওয়ানডেতেও খরুচে হিসেবে একটা বদনাম আছে। বোলিং বিশ্লেষণ, ক্যারিয়ার দেখে অনেকেই প্রশ্ন তোলে, রুবেল কেন বারবার সুযোগ পায়? মাঠেই উত্তর দিয়েছেন রুবেল, মাঠের বাইরে দিলেন মাশরাফি, ‘অনেকেই বুঝতে চায় না, বাংলাদেশের উইকেটে বোলিং করা পেসারদের জন্য কতটা কঠিন। চট্টগ্রাম টেস্টের কথাই ধরুন, একজন পেসারের ওখানে কী-ই বা করার ছিল! রুবেল কিন্তু দারুণ বোলিং করেছে, ফিগার দেখে সেটা বোঝা যাবে না। লোকে শুধু উইকেটসংখ্যাটাই দেখে। দেখে না যে রুবেল জান লাগিয়ে বোলিং করে।’ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ফেরার ম্যাচে তৃপ্তি-অতৃপ্তি দুটোই আছে মাশরাফির, ‘পেসারদের কাছে দলের চাওয়া ছিল শুরুতে খুব বেশি রান না দেওয়া। সেটা পেরেছি, ব্যাটের কানায় লেগে দুটো চার না হলে রান আরও কম থাকত। তবে উইকেট পেলে ভালো লাগত।’উইকেট না পেলেও মাঠে দেখা গেছে সেই চিরচেনা মাশরাফিকেই। চোট থেকে ফিরে প্রথম ওভারটি করেছেন মেডেন, চোটের ভয় না করে ডাইভ দিয়েছেন প্রথম ওভারেই। ওই দুটি ক্যাচ ছাড়াও মাঠে ছিলেন দারুণ চনমনে। এই জায়গাটায় তৃপ্ত মাশরাফি নিজেও, ‘মাঠে নেমে আসলে চোট-টোট নিয়ে ভাবলে চলে না। সব সময়ই নিজেকে উজাড় করে দিতে ইচ্ছে করে। আর শরীরী ভাষাটা আমি নিজেও চনমনে রাখতে চেয়েছিলাম। কারণ, জাতীয় দলের মতো জায়গায় সহানুভূতির জায়গা নেই। সেটা আমি চাই-ও না। ভালো খেলেই টিকে থাকতে হয়।’নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ধবলধোলাই সিরিজ গর্বের পাশাপাশি মাশরাফির কাছে একটা আক্ষেপও। তখন অধিনায়ক ছিলেন তিনিই, কিন্তু চোটে ছিটকে গেলেন প্রথম ম্যাচেই! এবার দলে আছেন, আক্ষেপ ভুলিয়ে দিতে পারে আরেকটি ধবলধোলাই। তবে আবেগে বাঁধ দিতে বলছেন মাশরাফি নিজেই, ‘সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। গতবারের চেয়ে এবার নিউজিল্যান্ড অনেক ভালো দল, অনেক ব্যালান্সড। গত এক বছরে ওদের পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। সিরিজ জিততে পারাটাই হবে দারুণ কিছু। দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ জিতে গেলে পরে শেষ ম্যাচ তো জিততে চাইবই।’মাশরাফির এই ভাবনাই কি হবে সিরিজের চিত্রনাট্য!১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার, ‘একতরফা’ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে গতকাল শুক্রবার এ কর্মসূচি দেয় ১৮-দলীয় জোট।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।আজ শনিবার ভোর ছয়টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা এই কর্মসূচি চলবে।এর আগে একই দাবিতে গত মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে শুক্রবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ৭১ ঘণ্টা কর্মসূচি পালন করে বিরোধীদলীয় এই জোট।সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর গ্রিন রোডে অবরোধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় মিছিল থেকে সাত-আটটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় আরও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান শিবিরের কর্মীরা।একই সময়ে রামপুরায় মিছিল করতে গিয়ে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।গাবতলী বাস টার্মিনালের কাছে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কে বা কারা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।রাজধানীর সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় আল হেলাল হাসপাতালের সামনে থেকে সকাল সাতটায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে দুজনকে আটক করে। তাঁরা হলেন আবদুল হালিম ভূইয়া ও আনোয়ারুল কবির। কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।রাজশাহীতে ভোরে ধানভর্তি কয়েকটি ট্রাক ও ওষুধবাহী একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।চট্টগ্রামের ইস্পাহানি এলাকায় রেললাইন অবরোধ করায় ঢাকা ও সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।চট্টগ্রামের এ কে খান এলাকায় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।মানবাধিকারের চরম অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে দেশে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উত্থান হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করা হচ্ছে।আজ মঙ্গলবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০১৩-এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান এ কথা বলেন।প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৩ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক। বছরব্যাপী ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকা রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।বিভিন্ন যানবাহনে পেট্রলবোমা ছোড়ার কারণে এবং বোমা বানাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সাতটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ৯৭ জনের মধ্যে ২৫ জন মারা যান। এ বছর বিভিন্ন সময় সহিংসতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন পক্ষের রোষানলে পড়ে তিনজন সাংবাদিক মারা যান।প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নতুন সংযোজন গুম বা গুপ্ত হত্যা। ২০১৩ সালে গুম বা গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ৫৩ জন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৭২ জন।২০১৩ সালে মোট রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ৮৪৮টি। এতে ৫০৭ জন নিহত ও ২২ হাজার ৪০৭ জন আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জন পুলিশ ও দুজন বিজিবির সদস্যও রয়েছেন। |
আগের দিনে রাজা-বাদশারা নিয়মিত ভ্রমণ করতেন। তাঁদের সঙ্গে ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে থাকতেন স্ত্রী, সন্তান, উজির, আত্মীয়, ভাইবোন ও বন্ধুদের বিশাল দল। সবাই মিলে ভ্রমণ করাটাই ছিল ঐতিহ্য। আজ রাজা-বাদশারা নেই। সেই ঐতিহ্যও যেন অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে, হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যকেই অতল গহ্বর থেকে টেনে এনেছি আমরা। ঐতিহ্য রক্ষায় বিশ্বজুড়েই আমাদের খ্যাতি রয়েছে। দলবল নিয়ে ভ্রমণ করার ঐতিহ্য বোধ হয় আবারও পুনরুদ্ধার হতে চলল। কদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৪০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে নিউইয়র্ক গিয়েছেন। রাজা-বাদশাদের তুলনায় সংখ্যাটা একটু কম হয়ে গেছে, তাতে কি! এক দিনেই তো আর পুরো ঐতিহ্য উদ্ধার করা সম্ভব নয়। সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর মধ্যে আছেন মন্ত্রী, এমপি, মন্ত্রীপত্নী, এমপিপত্নী, নানা স্তরের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবার, কবি, সাহিত্যিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য দিতে। জাতিসংঘটাও যেন কেমন, সফরসঙ্গীদের বক্তব্য দেওয়ার কোনো অপশনই রাখেনি। কী আর করা, সময় কাটাতে তাঁরা নিউইয়র্কে ঘুরছেন, শপিং করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব মন্ত্রী, নেতা-কর্মী দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। একটু বিশ্রামের সময়ও পাননি। এত দিন পর তাঁরা একটু অবসর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তো কাজ ছাড়া বসে থাকার পাত্র নন। একটা কিছু তো করতে হবে। তাই মনভরে শপিং করছেন। তা ছাড়া বাংলাদেশকে অনেকেই গরিব দেশ মনে করে। তাঁদের বিলাসবহুল শপিং দেখে নিশ্চয়ই আমাদের আর কেউ গরিব বলবে না। বিশাল বিশাল স্যুটকেস-ব্যাগসহ তাঁদের দেখে নিউইয়র্কবাসী যখন অবাক হয়ে বলবে, ‘ওই দেখ, বাংলাদেশের এক পাতিনেতার বন্ধু। উনিই কত ধনী! নেতাদের কথা তো ভাবাই যায় না।’ তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে যাবে! আর শপিং করাও একটা বিরাট গুণ। কত বিদেশি নেতাই তো বাংলাদেশে আসেন, কই, শপিং তো করতে পারেন না।আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবার এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছেন। তাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের উচিত আরও বেশি বেশি শপিং করা। তাঁদের এ মহানুভবতার কথা জাতি চিরদিন মনে রাখবে।বলিউডে সুপারহিরো চরিত্রে অসামান্য অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশন। তাঁর ছবি ‘কৃশ ৩’ মুক্তি পাচ্ছে ১ নভেম্বর। হৃতিকের পর এবার সুপারহিরো চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে রণবীর কাপুরকেও। অয়ন মুখার্জির পরবর্তী একটি ছবিতে এমন সুপারহিরো চরিত্রে অভিনয় করবেন বলেই সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন রণবীর। তবে ‘কৃশ ৩’-এর সঙ্গে ছবিটির কোনো রকম মিল থাকবে না বলেও জানিয়েছেন এ তারকা অভিনেতা।এ প্রসঙ্গে রণবীরের ভাষ্য, ‘এরই মধ্যে ফ্যান্টাসিধর্মী ছবিটির চিত্রনাট্য লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছে অয়ন। ছবিটি মুক্তির পর আরও দুটি সিক্যুয়েল নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তিন কিস্তির এ ছবিটির সঙ্গে “কৃশ ৩” ছবির কোনো রকম মিল খুঁজে পাবেন না দর্শকেরা।’ সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে পিটিআই।রণবীর আরও বলেন, ‘অয়ন আমার খুব ভালো একজন বন্ধু। ব্যক্তিগত সম্পর্কের পাশাপাশি পেশাগত কাজের ক্ষেত্রেও আমাদের ভেতর বোঝাপড়াটা দারুণ। এই মুহূর্তে ছবিটির কাজ একদমই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এমন একটি সুপারহিরোনির্ভর ছবি তৈরি করতে চাই, যা বলিউডের চলচ্চিত্রশিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে।’আগামী বছর মুক্তি পাচ্ছে রণবীর অভিনীত ‘বোম্বে ভেলভেট’ ছবিটি। অনুরাগ কশ্যপ পরিচালিত ছবিটিতে মুষ্টিযোদ্ধা চরিত্রে দেখা যাবে রণবীরকে। ছবিটির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশকের প্রেক্ষাপটে। তখনো মেট্রোপলিটান শহর হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি মুম্বাই।‘বোম্বে ভেলভেট’ ছবি সম্পর্কে রণবীরের মন্তব্য, ‘ছবিটির চমত্কার চিত্রনাট্য হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। ছবিটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে গল্প বলার চেষ্টা করেছেন অনুরাগ। তাঁর নির্মাণশৈলীও আমাকে মুগ্ধ করেছে। সবকিছু নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করেন এ নির্মাতা।’ভালো লাগা বা ভালোবাসার কথার সময় বাইরের সৌন্দর্য দেখার চেয়ে ছেলেদের মধ্যে কাজ করে হরমোনের নিঃসরণ। ছেলেদের চোখে মেয়েদের সুন্দর দেখানোর জন্য দায়ী এ হরমোনটির নাম ‘অক্সিটোসিন’। সম্প্রতি জার্মানির গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের বরাতে ‘ডেইলি মেইল’-এর এক খবরে বলা হয়েছে, অক্সিটোসিন নামের বিশেষ ধরনের এই রাসায়নিক যখন মানুষ নিবিড় সম্পর্কে জড়ায়, তখনই নিঃসরণ হতে পারে। সহকর্মী বা আগন্তুকদের দেখে এ হরমোনের নিঃসরণ ঘটে না।গবেষকেরা ৪০ জন যুবক নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁদের প্ল্যাসেবো নামের বিশেষ উদ্দীপক স্প্রে ও অক্সিটোসিন দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়, যাতে দেখা গেছে অক্সিটোসিনের প্রভাবে ঘনিষ্ঠজনকেই বেশি সুন্দর হিসেবে মস্তিষ্ক সায় দিয়েছে।‘প্রোসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস’ সাময়িকীতে গবেষণাসংশ্লিষ্ট নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক ডার্ক স্কেলি জানান, প্লাসেবোর পরিবর্তে পুরুষ যখন অক্সিটোসিন গ্রহণ করে, তখন মস্তিষ্কে পরিচিত সঙ্গীর ছবি দেখে প্রাপ্তির পদ্ধতিটি সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায়, যা অপরিচিত ছবি দেখে ঘটে না।গবেষকেদের দাবি, নাসারন্ধ্রে অক্সিটোসিন হরমোন স্প্রে করলে যুগলের মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বাড়ে।এর আগে অক্সিটোসিন হরমোন নিয়ে আরও গবেষণা হয়েছে। ইসরায়েলের বার-ইলান ইউনিভার্সিটির গবেষকেদের মতে, শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের পরিমাণ দেখেই সম্পর্কের গভীরতা ও স্থায়িত্ব জানা সম্ভব। এ হরমোনকে তাই ‘লাভ হরমোন’ বলা হয়। বিজ্ঞানীরা বলেন, মা ও সন্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে অক্সিটোসিন হরমোন। বিশেষত এ হরমোনের জন্যই মা ও সন্তানের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা অধিক হয়ে থাকে।শুধু প্রেমের সম্পর্ক তৈরিতে নয়, সম্পর্কে ভাঙন বা বিচ্ছেদের ঘটনার পেছনেও এই হরমোনটি রয়েছে বলে জানান মার্কিন গবেষকেরা। যাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়, তাঁদের কষ্ট বহু গুণ বেড়ে যায়। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে মার্কিন বিজ্ঞানীরা বলছেন, অক্সিটোসিন নামের একটি হরমোনই এমন দুঃখের অনুভূতির জন্য দায়ী।যুক্তরারে নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফেইনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের দাবি, কোনো কষ্টের অনুভূতি বা নেতিবাচক সামাজিক অভিজ্ঞতার ফলে তৈরি ভয় ও উদ্বেগের সংবেদনশীলতাকে বাড়িয়ে দেওয়ার পেছনে অক্সিটোসিনের ভূমিকা রয়েছে। গবেষকেরা বলেন, নেতিবাচক অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কৌশল অবলম্বনে অগ্রগতি অর্জনের এ গবেষণার ফলাফল মানুষের জন্য সহায়ক হতে পারে।’দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে দায়িত্ব রেখে নিয়মবহির্ভূত অতি-উত্সাহী তত্পরতা দেখানোর অভিযোগে পুলিশের এক সদস্য সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।পুলিশের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, গত শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর মন্ত্রিসভার অন্য ছয়জন সদস্য শপথ নেন। অনুষ্ঠানে পুলিশের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দিল্লি আর্মড পুলিশের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল রাজেশ কুমারও দায়িত্ব পালন করছিলেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠান চলাকালে দায়িত্ব রেখে ব্যারিকেড পার হয়ে, মাথার টুপি আকাশে ছুড়ে এবং কেজরিওয়ালের পক্ষে চিত্কার করে স্লোগান দেন রাজেশ। একই সঙ্গে দিল্লি পুলিশকে নগর সরকারের অধীনে আনারও দাবি জানান ওই কনস্টেবল।এ সময় পুলিশের অন্য সদস্যরা রাজেশকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। সবাই মিলে ধরে তাঁকে নিচে নামিয়ে আনেন। পরে তাঁকে ময়দানের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।রাজস্থান থেকে আসা রাজেশ ২০১০ সালে পুলিশে যোগ দেন। রামলীলা ময়দানে অতি-উত্সাহী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনার সময় রাজেশ পুলিশের পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি যা করেছেন, এতে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। তিনি যদি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করতে চান, তবে তা তাঁর ব্যক্তিগতভাবে করা উচিত ছিল।গত শনিবার জনসমুদ্রকে সাক্ষী রেখে আমজনতার একজন হয়ে দিল্লির পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর সঙ্গে শপথ নেন মন্ত্রিসভার অন্য ছয়জন সদস্য। শপথ নিয়েই কেজরিওয়াল দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিহাদ ঘোষণা করেন। |
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলমান সংকট নিরসনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সভা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়।বৈঠকে তেজগাঁও এলাকার সাংসদ আসাদুজ্জামান খান, গণপূর্ত সচিব খোন্দকার শওকত হোসেন, শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।পেশাগত বৈষম্য নিরসন ও সুপারভাইজিং পদ পরিবর্তনসহ দুই দফা দাবিতে কয়েক দিন ধরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গতকাল এ আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়।বিভিন্ন সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে ছাত্ররা গতকাল ক্যাম্পাসসহ অনেক স্থানে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ও সড়ক অবরোধ করেন। এসব ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় আড়াই শ ব্যক্তি আহত ও ৬৪ জন আটক হন। প্রকৌশলীর সংজ্ঞায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্ত করে ২০০৮ সালের বিতর্কিত গেজেট সংশোধন এবং ছাত্রদের বৃত্তি ও প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। কিন্তু নতুন ঠিকানায় এসে যেন খুঁজেই পাচ্ছিলেন না নিজেকে। সত্যিকারের গ্যারেথ বেলের দেখা মিলল গত রাতে। নিজে দুটি গোল করলেন, করালেন দুটি। জোড়া গোল করেছেন করিম বেনজেমাও। এর সঙ্গে যোগ হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিক। রোনালদো-বেল-বেনজেমার চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে সেভিয়ার বিপক্ষে রিয়াল জিতেছে ৭-৩ গোলে।ম্যাচের প্রথম দুটি গোলই (১৪ ও ২৭ মিনিট) বেলের। ৩২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রোনালদো। তবে প্রথমার্ধেই দুটি গোল শোধ করে ফেলে সেভিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে রিয়াল। রোনালদো ও বেনজেমা দুজনেই সেভিয়ার জালে দুবার করে আঘাত হানেন। বিপরীতে সেভিয়া গোল করতে সমর্থ হয় একটি। রিয়াল খেলোয়াড়দের আধিপত্যের রাতে সেভিয়ার হয়ে রাকিটিক দুটি ও কার্লোস বাক্কা একটি গোল করেন।গত রাতের জয়ের সুবাদে লা লিগার ১১ ম্যাচে রিয়ালের অর্জন দাঁড়াল ২৫ পয়েন্ট। লিগে অবস্থান তৃতীয়। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অর্জন ২৭ পয়েন্ট।সেভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের সুবাদে এক লাফে ডিয়োগা কস্তাকে ধরে ফেলেছেন রোনালদো। ১১ গোল নিয়ে প্রতিযোগিতায় এককভাবে শীর্ষে ছিলেন অ্যাটলোটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড কস্তা। পর্তুগিজ উইঙ্গারের গোলসংখ্যাও এখন ১১। পরের অবস্থানটা লিওনেল মেসির। বার্সার আর্জেন্টাইন জাদুকরের গোলসংখ্যা ৮। সূত্র: রয়টার্স।সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পর্ষদ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করা হয়েছে।আজ শনিবার সকালে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে এ তথ্য জানান।ফায়েকুজ্জামান বলেন, সকাল সাড়ে নয়টায় আইসিবির পর্ষদ সভা, সাড়ে ১০টায় ইজিএম এবং সাড়ে ১১টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে।সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।গতকাল সোমবার রাতে জেলার কলারোয়া, কালীগঞ্জ, তালা ও দেবহাটা উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।সাতক্ষীরা গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আযম খান ‘প্রথম আলো’কে জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মো. আকরামুজ্জামান বিএনপির এবং বাকিরা জামায়াত-শিবিরের কর্মী।গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সড়কের পাশের গাছ কেটে সড়ক অবরোধ, পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। |
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে।গত ১৪ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। ওই দিন রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখে ট্রাইব্যুনাল বলেন, যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে।প্রায় দেড় মাস পর আলোচিত এই মামলার রায় কাল ঘোষণা করা হবে। বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এই প্রথম রায় হতে যাচ্ছে।যেভাবে সাকার বিচার শুরু: ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে সাকা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে ১৭ নভেম্বর তা আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁর বিরুদ্ধে ২৩টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। ওই বছরের ১৪ মে ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় চলতি বছরের ২৪ জুলাই। এ সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ৪১ জন, আসামিপক্ষে চারজন। ২৮ জুলাই থেকে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়, গতকাল তা শেষ হলো।২৩ অভিযোগ: সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলায় ২৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একাত্তরের ১৩ এপ্রিল কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকাণ্ড; চট্টগ্রামের মধ্য গহিরা, জগত্মল্লপাড়া, সুলতানপুর বণিকপাড়া, ঊনসত্তরপাড়া, শাকপুরা প্রভৃতি গ্রামে গণহত্যার অভিযোগ। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অনুসারে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন সাকা চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি গুডস হিল একাত্তরে ছিল একটি নির্যাতন কেন্দ্র। অনেক ব্যক্তিকে সেখানে ধরে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এ ছাড়া হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নিপীড়নে পাকিস্তানি সেনাদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।আরও পড়ুনসাকা চৌধুরীর রায় কবে এবার সাকা চৌধুরীঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন স্টেশনে প্রবেশের পথে কুমারপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ট্রেনের মাঝখানের যাত্রীবাহী একটি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এতে দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী।দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীরা হলেন নেত্রকোনা শহরের বারহাট্টার মোস্তাকিম (২৫) ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের নূরুল আমিন (৪৫)।আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, আহত যাত্রীদের মধ্যে ২৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বেশির ভাগেরই হাত-পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া ১৫ জন ট্রেনযাত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আখাউড়া রেলজংশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাত্ক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। কারণ তদন্তে ঢাকা থেকে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি দল আখাউড়ায় যাবে। দুর্ঘটনার কারণে গতকাল রাত তিনটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের রেলযোগাযোগ বন্ধ ছিল।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বিয়ের পথেই হাঁটছেন অভিনয়শিল্পী সানজিদা প্রীতি। নতুন বছরের সুবিধাজনক সময়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন বলে প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা ও গায়ক জিবরান তানভীরের সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসে আংটি বদলের কাজটি সেরে নিয়েছেন তিনি।প্রথম আলো ডটকমকে প্রীতি বলেন, ‘২০০৫ সাল থেকে জিবরানের সঙ্গে আমার চেনাজানা। একটা সময় তা ভালোবাসায় রূপ নেয়। তারপর বিষয়টি উভয় পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের জানানো হয়। তাঁরাই আংটি বদলের সিদ্ধান্তটি দেন। তবে আংটি বদলের সিদ্ধান্তটি খুব বেশি সময়ের নয়।’প্রীতি আরও বলেন, ‘আমি এখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ইচ্ছে আছে নতুন বছরের যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে কাজটি সারার।’সানজিদা প্রীতি সর্বশেষ আফসানা মিমি পরিচালিত ‘রান’ ছবিতে অভিনয় করেন। এ ছাড়া এখন তিনি তিন-চারটি ধারাবাহিকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধারাবাহিক নাটকগুলো হচ্ছে রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘ক্ষণিকালয়’, নরেশ ভূঁইয়ার ‘লঙ্গরখানা’ এবং মাতিয়া বানু শুকু ও যুবরাজ খানের ‘প্রজ্ঞা পারমিতা’। পাশাপাশি খণ্ড নাটকের কাজও করছেন তিনি। রয়েছে নিয়মিতভাবে থিয়েটার-চর্চাও।ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা গোপালগঞ্জ জেলাকে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে মুছে দিতে চেয়েছেন। এটা ২০১৩ সালের সবচেয়ে অসুস্থ প্রলাপ। খালেদা জিয়া যে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, এটা তারই প্রমাণ।’আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বাঙালির বিজয় ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মায়া এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বিরোধী দলের নেত্রী যা বলেছেন একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের মুখে তা মানায় না। কেবল মানসিক ভারসাম্যহীনের মুখে এ কথা মানায়।’ তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি পাবনায় যান।’ বিরোধীদলীয় নেতা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করতে, গণতন্ত্র ধ্বংস করতে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে মাঠে নেমেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।বিরোধী দলের সমালোচনা করে মায়া আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া আন্দোলনের ডাক দেন, কিন্তু নেতা-কর্মীরা কেউ মাঠে নামে না। এদের দিয়ে রাজনীতি হবে না। তারা জামায়াত-শিবির দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিরোধী দলের মনে রাখা উচিত, এভাবে মানুষ পুড়িয়ে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না।’ আওয়ামী লীগের কর্মীদের রাজপথে পাহারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে যেখানে আছেন, সেখানেই পাহারায় থাকবেন। তবে কেউ “ফাউল” খেললে তার সমুচিত জবাব দেবেন আপনারা।’বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সভাপতি ফুলু সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল হক ও শাহে আলম মুরাদ। |
শাহরুখ খানের ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিটি বক্স অফিসে ঝড় তোলার পাশাপাশি বলিউডের ছবির ইতিহাসে নিত্যনতুন নানা রেকর্ড গড়েছে। এবার ছবিটিকে টেক্কা দিতে উঠে-পড়ে লেগেছেন রণবীর কাপুর অভিনীত ‘বেশরম’ ছবির নির্মাতারা। রণবীর যে শাহরুখের অন্তত একটি রেকর্ড ভাঙবেন তা প্রায় নিশ্চিত। ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তির রেকর্ড এখন ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দখলে। তবে এবার সে রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে ‘বেশরম’।ভারতের ৩৫০০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখের ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। এবার ভারতের ৩৬০০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে ‘বেশরম’ ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর এমনটা হলে হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তির রেকর্ড গড়বে ‘বেশরম’। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।বিশ্বব্যাপী ছবিটি পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা উত্পল আচার্য জানিয়েছেন, ‘ভারতে এবং ভারতের বাইরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘‘বেশরম”। ভারতের চার হাজার প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক এবং কেরালায় হল বুকিং পেতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও আমরা আশা করছি, ৩৬০০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।’অভিনব কশ্যপ পরিচালিত রোমান্টিক কমেডিধর্মী ‘বেশরম’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ২ অক্টোবর। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর, পল্লবী শারদা, ঋষি কাপুর, নিতু সিং, জাভেদ জাফরি প্রমুখ। সম্প্রতি ‘অ্যাটিভ ট্যাব ৩’ নামে স্যামসাংয়ের তৈরি ট্যাব ও নেটবুক উভয় সুবিধার একটি পণ্য বিপণন শুরু করেছে স্মার্ট টেকনোলজিস। এক্সই৩০০টিজেডসি-কে০১বিডি মডেলের উইন্ডোজনির্ভর এ ট্যাবটিতে রয়েছে ইনটেলের ১.৮ গিগাহার্টজের অ্যাটম প্রসেসর।১০.১ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ট্যাবটিতে রয়েছে দুই গিগাবাইট র্যাম, ৬৪ গিগাবাইট মেমোরি সুবিধা, স্টেরিও স্পিকার. ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই ও এইচডি ক্যামেরা সুবিধা।‘অ্যাটিভ ট্যাব ৩’-এর দাম ৭০ হাজার টাকা।জানেন কি, আন্তর্জাতিক ফুটবলের শুরুর সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে আছে ক্রিকেট! ক্রিকেটই যে ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচের আঁতুড় ঘর!সবকিছুর একটা শুরু থাকে। আর সেই শুরুর মাধ্যমে রচিত হয় নতুন ইতিহাস। আমাদের এই ইতিহাসের গল্প শুনতে হলে ফিরে যেতে হবে বহু পেছনে। সালটা ছিল ১৮৭২, আর দিনটা ছিল ৩০ নভেম্বর। যেদিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ।এই ম্যাচের সূত্রপাত অবশ্য হয়েছিল আরও দুই বছর আগে। ১৮৭০ সালে। ১৮৭০ সালের মার্চ থেকে ১৮৭২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিল ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। এই ম্যাচগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বীকৃতি না পেলেও প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল ঠিকই। এই ম্যাচগুলোর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি চার্লস অ্যালকক।সেই ম্যাচগুলোতে যে খেলোয়াড়দের স্কটল্যান্ড দলের জন্য বাছাই করা হয়েছিল, তাঁরা আসলে সবাই ছিলেন লন্ডনে থিতু হওয়া স্কটিশ বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। একমাত্র পুরোদস্তুর স্কটিশ খেলোয়াড় ছিলেন কেবল স্ট্রাইকার রবার্ট স্মিথ। তিনি খেলতেন স্কটিশ ক্লাব কুইন্স পার্ক এফসিতে।ফলে বিতর্ক উঠল, স্কটল্যান্ড দলে স্কটিশ খেলোয়াড় ছিল না। যাঁরা ছিল, তারা আসলে অ্যাংলো-স্কটিশ। চার্লস অ্যালকক তারপর ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে আরেকটি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেন। এবার ঠিক হয়, স্কটল্যান্ড দলে শুধু স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া খেলোয়াড়রাই খেলতে পারবে। ১৮৭২ সালে স্কটল্যান্ডের শীর্ষ ক্লাব দল ‘কুইন্স পার্ক’ অ্যালককের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে। তখনো স্কটল্যান্ডের নিজস্ব ফুটবল সংস্থা ছিল না।তারপর এল সেই দিন। ৩০ নভেম্বর ১৮৭২। প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ!এই ম্যাচের জন্য পুরো স্কটল্যান্ড দলটি ছিল তাদের শীর্ষ ক্লাব কুইন্স পার্কের খেলোয়াড়দের দিয়ে গড়া। অধিনায়ক ছিলেন গোলরক্ষক রর্বাট গার্ডনার। খেলাটি হয়েছিল পশ্চিম স্কটল্যান্ড ক্রিকেট ক্লাবের মাঠ হ্যামিল্টন ক্রিসেন্টে। এভাবেই আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্ম হয়েছিল একটি ক্রিকেট মাঠে।ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছিল সে সময়ের ইংল্যান্ডের নয়টি ক্লাব থেকে। অ্যালককই খেলোয়াড় বাছাই করেছিলেন। খেলাটি প্রথমে বেলা দুইটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে শুরু হয়েছিল ২০ মিনিট দেরিতে। মাঠে ছিলেন চার হাজারের মতো দর্শক।স্কটিশরা পরেছিল গাঢ় নীল রঙের জার্সি। ইংলিশদের জার্সি ছিল তাদের ঐতিহ্যবাহী সাদা রঙের। খেলা শুরু হওয়ার পর স্কটল্যান্ড দল বাড়তি সুবিধা পেতে শুরু করে। স্কটিশ দলের সব খেলোয়াড় কুইন্স পার্ক ক্লাবে একসঙ্গে খেলার কারণে তাঁদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ছিল। বিশেষ করে স্কটিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেকি ড্রিবলিং স্কিল দিয়ে মাঠের দর্শকদের মুগ্ধ করেন। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত ফুটবলের কারণে ইংলিশ রক্ষণ বেসামাল হয়ে পড়ে।এ ছাড়া তাঁদের ডিফেন্ডার উইলিয়াম কের প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে ইংলিশ ডিফেন্সে পৌঁছে যান। বৃষ্টির কারণে মাঠ কর্দমাক্ত ছিল। তার পরও ছোটখাটো গড়নের স্কটিশ খেলোয়াড়েরা নিজস্ব বোঝাপড়ার মাধ্যমে ব্রিটিশ খেলোয়াড়দের চেয়ে ভালো খেলছিলেন। খেলার প্রথমার্ধে রেফারি স্কটিশদের একটি গোল বাতিলও করেন।ম্যাচের শেষভাগে জেগে ওঠে ইংলিশ অহংবোধ। ইংলিশরা স্কটিশ ডিফেন্সে চেপে বসে। কিন্তু স্কটিশরাও দক্ষতার সঙ্গেই সেই আক্রমণগুলো প্রতিহত করে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয়।আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার পীরগঞ্জে নিজের পক্ষে নির্বাচনী জনসভা করবেন।শেখ হাসিনাকে বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের যাত্রীবাহী একটি বিমান দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে। সেখান থেকে সড়কপথে নিজের নির্বাচনী এলাকার যাওয়ার কথা তাঁর।গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া) ছাড়াও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন শেখ হাসিনা।রংপুর-৬ আসনে শেখ হাসিনার আদতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই নেই। যদিও ব্যালট পেপারে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে নাম থাকছে নূর আলমের। প্রতীকও থাকছে জাপার লাঙল। তবে জাপার এই প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তা প্রত্যাহার দেখানো হয়নি। তিনি কোনো নির্বাচনী সভা করেননি। এমনকি তাঁর পক্ষে পোস্টার ছাপা বা টাঙানো হয়নি।একতরফা এই নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো কৌতূহল নেই। এলাকায় ভোটের কোনো আমেজও নেই। নেই কোনো তোরণ, ব্যানারও। তবে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান ও শেখ হাসিনার আগমনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে হাটবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টাঙানো হয়েছে।শেখ হাসিনা আজ পীরগঞ্জ উপজেলার খালাসপীরে তরফ মৌজা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন। তাঁর আগমন উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে এলাকায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদ ও নির্বাচন প্রতিহত করতে পীরগঞ্জসহ রংপুরের আট উপজেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮-দলীয় জোট। তবে সৈয়দপুরে এ হরতালের কোনো প্রভাব চোখে পড়েনি।প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সৈয়দপুর থেকে পীরগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। |
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর মরাপদ্মা নদী থেকে স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে স্যালো ইঞ্জিনের সাহায্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। গত শনিবার ওই এলাকার দুটি পরিবারের তিনটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দাবি, তাঁরা নিজেদের জমি থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন।উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছরোয়ার হোসেন জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ সম্পর্কে তাঁর জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এলাকার অনেকের অভিযোগ, উজানচর জামতলা মোহনের ঘাট থেকে বাহাদুরপুর পর্যন্ত মরাপদ্মা নদীর অন্তত ২০টি স্থানে শহীদ শেখ, ছলিম শেখ, আজগর মণ্ডল, হানিফ শেখ, সালাউদ্দিন, সেকেন মিস্ত্রি, আবদুল মালেক, সিমান মেম্বর, মজনু শেখ, মোজাম মাস্টারসহ অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি স্যালো ইঞ্জিনের সাহায্যে বালু তুলে বিক্রি করছেন। দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর পাড় ভাঙা শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী সম্প্রতি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।শনিবার দরাপেরডাঙ্গী এলাকায় দুটি পরিবারের তিনটি বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। হুমকির মুখে রয়েছে আরও অর্ধশত পরিবারের বাড়িঘর। এ ঘটনার পর নদীতে থাকা বালু উত্তোলনকারীরা স্যালো ইঞ্জিন তুলে পালিয়েছেন।শনিবার দুপুরে দরাপেরডাঙ্গী এলাকায় দেখা যায়, মরাপদ্মার পাড়ে শূন্য ভিটায় কান্নাকাটি করছেন আলতাফ শেখের স্ত্রী নাসিমা বেগম। ভিটার পাশে নদীতে ভাসছে ঘরের বেড়া, ছাউনি, আসবাব, গাছপালাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। ভাঙন-আতঙ্কে আছে জামাল শেখ, মজনু শেখ, হানিফ শেখ, সোনাই সরদার, নুরু মিস্ত্রি, মানো মণ্ডল, ইসমাইল শেখেরসহ অর্ধশত পরিবার।এলাকার আতঙ্কিত লোকজন জানান, দেড় মাস ধরে এলাকার সিমান মেম্বর, মজনু শেখ ও মোজাম মাস্টার বালু তুলে বিক্রি করছেন। সিমান মেম্বর ও মজনু শেখকে পাওয়া যায়নি। সিমান মেম্বরের ছেলে আমজাদ শেখ দাবি করেন, প্রায় এক মাস আগে বালু তোলা বন্ধ করা হয়েছে। কিছুদিন পর অন্যরা মাটি কাটলেও তিনি জানতেন না। মোজাম মাস্টার দাবি করেন, যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছিল, সেই জায়গা ব্যক্তিমালিকানাধীন।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র স্যালো ইঞ্জিন দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছে। উজানচর ইউপির চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা বলেন, বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে। তা না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।নির্বাচনের সময় সরকার রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা কোনো প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করতে পারবে না। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদেরা সরকারি সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না।সংসদ নির্বাচনের সংশোধিত খসড়া আচরণবিধিতে এসব বিধান রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি সংশোধনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।আগামী রোববার থেকে এই আচরণবিধি সাত দিনের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ অন্যদের মতামত পাওয়া গেলে তা আমলে নিয়ে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে। বিদ্যমান আচরণবিধি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য তৈরি। সংশোধিত আচরণবিধিটি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য প্রয়োগযোগ্য করে করা হয়েছে।প্রস্তাবিত এই আচরণবিধি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভালো আচরণবিধি প্রস্তাব করেছে। প্রশ্ন হলো, তারা এটা কতটা প্রয়োগ করতে পারবে। দেখতে হবে, কোনো অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আচরণবিধি ভাঙলে কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না। সেখানে ব্যর্থ হলে এই আচরণবিধি অর্থহীন হয়ে যাবে।’আচরণবিধির ৩ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় কোনো সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাঁদের অধীনে থাকা সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ ছাড় করতে পারবেন না। বিধিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় উপনেতা বা তাঁদের সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি, সাংসদ এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে। কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, কমিশনের গতকালের বৈঠকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।১৪ ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাঁদের সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচন কর্মসূচি যোগ করতে পারবেন না। তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যান, সরকারি প্রচারযন্ত্র বা অন্যান্য সরকারি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। একই কাজে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকার সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে কর্তৃত্ব করতে বা এ-সংক্রান্ত সভায় যোগ দিতে পারবেন না।একই ধারায় আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে আগে থেকে থাকলেও নির্বাচনের সময়ে তা অকার্যকর থাকবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভোটদান ছাড়া নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ বা নিজে প্রার্থী না হলে ভোট গণনার সময় গণনাকক্ষে প্রবেশ বা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।২ ধারা সংশোধন করে ‘নির্বাচনপূর্ব সময়’ বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশের মধ্যবর্তী সময়কে বোঝানো হয়েছে। বিদ্যমান বিধিতে নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে সংসদের মেয়াদ শেষ বা সংসদ ভেঙে যাওয়ার দিন থেকে নির্বাচনের ফল গেজেটে প্রকাশের সময়কে বোঝানো হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার উপকরণের তালিকায় পোস্টার-ব্যানারের সঙ্গে বিলবোর্ডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।৭ ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কোনো ব্যক্তি ছাপাখানার নাম, ঠিকানা ও ছাপার তারিখবিহীন কোনো পোস্টার ছাপাতে পারবেন না।গতকাল কমিশনের বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আচরণবিধিতে বিশেষ কিছু পরিবর্তন এনেছি। বিদ্যমান আচরণবিধি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে করা। এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী আচরণবিধি করা হয়েছে।’সিইসি বলেন, আচরণবিধিতে মন্ত্রীদের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা সরকারি সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না। মন্ত্রীরা দৈনন্দিন কাজ করতে পারবেন। কিন্তু কোনো সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সরকারি সুবিধাভোগী প্রার্থীরা সরকারি ডাকবাংলোতে থাকতে পারবেন, খেতে পারবেন। কিন্তু রাজনৈতিক সভা করতে পারবেন না। সেটার লঙ্ঘন হলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে।সঠিক সময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে জানিয়ে কাজী রকিব উদ্দীন বলেন, জাতি ‘ডিফিকাল্ট’ সময়ে আছে। এ বিষয়ে সব দলকে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইসি নির্বাচন করতে প্রস্তুত। ভোটার তালিকা, সীমানাবিন্যাস, ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।দু্ই দল রাজি থাকলে ২৪ জানুয়ারির পরও নির্বাচন করা সম্ভব কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘দুই পক্ষ রাজি হলে আলহামদুলিল্লাহ।’মাগুরা সদর উপজেলার মালিক গ্রামে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত দুই যুবক মারা গেছেন। তাঁরা হলেন একই গ্রামের মো. ফরিদ (২২) ও নাঈম মোল্লা (২৬)।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার বিকেলে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে ছয়জন আহত হয়। আহত লোকজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১০টায় ফরিদ মারা যান।নাঈমকে রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আজ শনিবার সকালে তিনি মারা যান।মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান এই দুজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ-ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।গতকালের সংঘর্ষের ঘটনার জেরে আজ ভোর থেকে মালিক গ্রামে দুই প্রতিপক্ষ গ্রুপ পরস্পরের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অনুরোধে এজলাস থেকে নেমে যান চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মশিউর রহমান। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ রেজাউল মাসুদ প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তাঁরা মিছিল নিয়ে আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় মুখ্য মহানগর হাকিমের এজলাসে পৌঁছান। এ সময় তাঁরা বিচারক মশিউর রহমানকে এজলাস থেকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে তিনি এজলাস থেকে নেমে তাঁর খাসকামরায় চলে যান। এ ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নেতা আবদুস সাত্তার বলেন, ‘সিএমএম স্যারকে অনুরোধ জানালে তিনি এজলাস থেকে নেমে যান।’আজ আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরাও আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করছেন।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি উপলক্ষে গত রোববার ও সোমবার ঢাকায় সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আইনজীবী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। |
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার রামপুর এলাকায় গতকাল রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেটগামী একটি বাস একটি ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে নদে পড়ে যায়। এতে এক যুবক নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল ও মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আরও দু-তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. বায়েজিদ জানান, সেতুর ওপর আল মোবারাকা পরিবহনের ওই বাসটি একটি ট্রলিকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে সেতুর ডান পাশের রেলিং ভেঙে তিতাস নদে পড়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর দুই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রাত ১১টার দিকে এক লাইনে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ওয়ালিউল্লাহ জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ জানান, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।রাষ্ট্র খাতের বেসিক ব্যাংকের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ঋণই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরভিত্তিক হিসাবে এ তথ্য মিলেছে। বছর শেষে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।অথচ পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৫ শতাংশের মতো। একসময় গর্ব করার মতো বেসিক ব্যাংক এখন বড় এক লোকসানি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘বিশেষ আনুকূল্যে’ ২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বড় অঙ্কের নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) ঘাটতি রেখে লাভজনক দেখানো হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে গত বছর ব্যাংকটির নিট লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরভিত্তিক ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ হয়েছে এক হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা; যা ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ১০ হাজার ১১২ কোটি টাকা ঋণের ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর আগে গত জুন শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯২৩ কোটি টাকা; যা সে সময় পর্যন্ত ব্যাংকটির বিতরণ করা মোট ঋণ নয় হাজার ৮৪৮ কোটি টাকার ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।তবে একটি সূত্র জানায়, যেসব গ্রাহকের ঋণের মেয়াদ পূর্তি হয়েছে, সেগুলোই কেবল শ্রেণীকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে গুণগত মান বিবেচনায় শ্রেণীকরণ করতে বলেছিল, ব্যাংকটি তা করেনি। সেটা করা হলে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে পড়বে।ব্যাংক সূত্র জানায়, এই দফায় গুলশান শাখায় ৬৭০ থেকে ৬৮০ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখায় ১৬০ কোটি টাকা, গুলশান শাখায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা ও অন্যান্য শাখা মিলিয়ে ৯৪০ কোটি টাকার মতো ঋণকে শ্রেণীকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শান্তিনগর শাখার গ্রাহক অটোডিফাইন, গুলশান শাখার গ্রাহক এবি ট্রেড লিংক, ইএফএস, এআরএসএস, ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ, মা টেক্স, এস সুহী শিপিং লাইন ও এস রিসোর্স শিপিং লাইন রয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সরেজমিনে পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেনামি, জাল-জালিয়াতি ও ভুয়া-অস্তিত্বহীন ঋণ বলে উল্লেখ করেছিল।সূত্র জানায়, বেসিক ব্যাংকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশন বিভাগ থেকে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার একটি প্রস্তাব শীর্ষ পর্যায় থেকে নাকচ করে দেওয়া হয়। তার পরিবর্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলামের কাছে একটি ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছিল। তার জবাবেও সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার পরেও ব্যাংকটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বেসিক ব্যাংকের এমডি ফখরুল ইসলামের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ডিএমডি কনক কুমার পুরকায়স্থ ফোন ধরেননি। অপর ডিএমডি এম মুনায়েম খান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও আসন্ন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক নারীর ছবি প্রকাশ করেছে গুলাইল নামের একটি ওয়েবসাইট। ২০০৫ সাল থেকেই মোদির সঙ্গে ওই নারীর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে দাবি করেছে অনুসন্ধানমূলক ওয়েবসাইটটি।গুলাইল ওয়েবসাইটে এর আগে মোদির সহযোগী অমিত শাহ এবং গুজরাটের বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা জি এল সিংলালের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ করেছিল।ওয়েবসাইটটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ছবিগুলো ২০০৫ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত কুচ শারদ উৎসবের। শাহ ও সিংলালের মধ্যে ওই কথোপকথন মতে, ‘শাহিব’-এর নির্দেশনায় ২০০৯ সালে মাধুরীর (আসল নাম নয়) ওপর রাজ্য পুলিশ গোয়েন্দাগিরি শুরু করে। মাধুরীর বাবা প্রেমলাল ও বিজেপির দাবি, প্রেমলালই ২০০৯ সালে তাঁর মেয়ের দিকে ‘খেয়াল রাখতে’ মোদিকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গুলাইল। এতে বলা হয়, মাধুরীর ওপর নজরদারির শুরুর অন্তত পাঁচ বছর আগেই মাধুরীকে মোদি চিনতেন, এই ছবিগুলোই তার প্রমাণ। টাইমস অব ইন্ডিয়া।ধোঁয়াওঠা উষ্ণ চায়ের সুবাসে যেমন চনমনে চাঙা হন আপনি, পেয়ালায় এক চুমুকে চোখ বুঁজে যেমন হারিয়ে যান বহু দূর, তেমনি সবুজ চা পান সৌন্দর্যচর্চায় অনেকখানি এগিয়ে দিতে পারে আপনাকে।অনেকেই বলেন, ত্বকের যত্ন সৌন্দর্যচর্চায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাবণ্যময় সতেজ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী সবুজ চা। এজন্যই নানা প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহূত হয় সবুজ চায়ের নির্যাস। কারণ, সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান রয়েছে।সবুজ চায়ের গুণাগুণের কয়েকটি দিক-১. সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যেতে পারে আপনার ত্বক। কিন্তু সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর উপাদান রোধ করে ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।২. সবুজ চা পান যেমন ত্বকের ভেতর থেকে সুরক্ষা দেবে, তেমনি রোদে পোড়া ত্বক স্বাভাবিক করতেও মাখা যেতে পারে সবুজ চা। এতে যেমন ত্বকের রোদ-পোড়া ভাব দূর হবে, তেমনি ত্বকও থাকবে সতেজ।৩. সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়েও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্যানসারের ক্ষতিকারক এনজাইম ঠেকাতে সহায়তা করে চায়ের এ উপাদান।৪. প্রকৃতির এই অনন্য উপহার মানবকোষের নবায়নের প্রক্রিয়ায় দারুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পুরোনো কোষগুলোকে জৈবিকভাবে শক্তি জোগাতে পারে সবুজ চায়ের ‘পলিফেনল’ উপাদান। এভাবে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতেও সহায়তা করে সবুজ চা।৫. ত্বকের প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতেও বিরাট উপশমকারীর ভূমিকা নিতে পারে সবুজ চা। এ ছাড়া ত্বকের প্রদাহজনিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে সাহায্য করবে এই চা।৬. ব্রণ ও ফুসকুড়ি ঠেকাতে খুবই উপকারে আসে সবুজ চায়ের ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান ‘ক্যাটেচিন’। ত্বকের হরমোনের ওপর ক্রিয়া করে ব্রণ ও ফুসকুড়ি রোধে ভূমিকা রাখে এটা। সবুজ চা হালকা করে পানিতে ভিজিয়ে পুরো মুখে মাখিয়ে রাখলেও উপকার পাবেন আপনি। |
রাজধানীর বিমানবন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ আলম ওরফে দীপুর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে গত শনিবার রাতে তিন কেজি গাঁজা জব্দ করেছে টঙ্গী মডেল থানার পুলিশ। এ সময় গাড়ির চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।গাড়ি ছাড়াতে থানায় এসে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতা মাসুদকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা থানাহাজতে আটকে রাখে পুলিশ। পরে যুবলীগের এক নেতা এসে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিউর রহমান বলেন, শনিবার রাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে তিনি টঙ্গীর নিমতলী রেলগেট এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঢাকাগামী একটি ব্যক্তিগত গাড়ি আটক করেন। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁরা পলিথিনে বাঁধা তিন কেজি গাঁজা জব্দ করেন। গাড়ির যাত্রী রোকসানা আক্তার (২২) ও চালক সাকিবকে (৩২) আটক করে রাত আটটার দিকে থানায় আনা হয়।এসআই রাজিউর আরও জানান, খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা মাসুদ টঙ্গী থানায় ছুটে আসেন। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। একপর্যায়ে তাঁকে থানাহাজতে আটকে রাখা হয়। পরে যুবলীগের প্রভাবশালী এক নেতা থানায় এসে রাত দেড়টার দিকে মাসুদকে ছাড়িয়ে নেন। যুবলীগের ওই নেতার নাম বলতে চাননি এসআই।মাসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটক গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে থানায় গিয়েছিলাম। সাকিব আমার গাড়িচালক, কিন্তু তাঁর সঙ্গের মেয়েকে চিনি না। তাঁরা গাঁজাগুলো কোথা থেকে এনেছেন, তা-ও জানি না।’টঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গাঁজা জব্দের ঘটনায় রোকসানা ও চালক সাকিবের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। গতকাল দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পর পর দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপে সেরা অভিনয়শিল্পীর জয়মুকুটও পেয়েছেন ২০১২ সালে। সেদিন সকালবেলা তাঁর নিউ ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে বিকেলের রোদেলা আভা ছিল জয়া আহসানের মুখে...তাঁর ফ্ল্যাটে বসে তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছিল বেশ আগে—ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি ছবিটি তখন সিনেমা হলে যাওয়ার অপেক্ষায়। সে সময় এ ছবি প্রসঙ্গে আমাদের খুব বেশি বাতচিৎ হয়নি। তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘এ ছবিতে প্রেম + থ্রিলার + অ্যাকশন = আছে সবকিছুই। আমি এখানে বাংলা ছবির নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছি।’ এরপর কথার খোলস আরও আলগা করলেন, ‘মানে বুঝলেন না, আমি সব সময় পান্তাভাত খাব, তা তো হয় না। আমি যে পোলাও-ও খেতে পারি, সেটাই দেখতে চেয়েছি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি নানা বর্ণের বিচিত্র গড়নের চরিত্রের স্বাদ নিতে চাই। এ জন্যই ছবিটি করেছি।’এখন জয়া আহসান অভিনীত সেই চলচ্চিত্রটি বড় পর্দায় দেখতে পাচ্ছেন দর্শক। না, সেদিকে যাব না; বরং আমরা এখন ফিরে যেতে চাই ভিন্ন এক ভুবনে: মনে করুন, বিকেল বেলা, চারদিকে মিহি রোদ। মনে করুন, নিউ ইস্কাটনে নিজের ফ্ল্যাটের এক চিলতে বারান্দায় একাকী দাঁড়িয়ে মেয়েটি চারপাশের হলুদ আলোর সঙ্গে মিলেমিশে একাকার, মিষ্টি আলোর সামনে আলোড়িত হচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। তাঁর হাতে এক পেয়ালা সবুজ রঙের চা। হঠাৎ মনে হলো, পাশে টবের তেঁতুলগাছটিও তাঁর সঙ্গে বেড়ে উঠছে!পাঠক, লেখার এ রকম বর্ণনায় আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, এটি নাটকের একটি চমৎকার দৃশ্য। কিন্তু আপনার সেই ভাবনার মুখে ছাই—নিজের সঙ্গে একা থাকলে বাস্তবেই এমন হয় জয়া আহসানের। তখন এই অভিনয়শিল্পীর হাতে থাকে কোনো বই; বইয়ের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে কোনো এক সময় হঠাৎ মনে হয়, এই তো জীবন!তাঁর সঙ্গে কথাবার্তার মুহূর্তে এ লেখাটি হলদে-রাঙা বিকেলের বর্ণনা দিয়ে শুরু হবে, এমনটাই ভেবেছি। কিন্তু এর মধ্যে সময় যে গড়াল—লেখার শুরুও গেল বদলে!এখন কোথা থেকে শুরু হবে লেখাটি? আচ্ছা, জয়াকে ওই যে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘জয়া’ শব্দের অর্থ কী? এক চিলতে হাসির শব্দে মজা করে তিনি বললেন, ‘হরীতকী—আমি অভিধানে দেখেছি!’ এরপর আবার বললেন, ‘জয়া মানে সর্বজয়া।’—লেখাটি তো এখান থেকেও শুরু হতে পারে, তাই না?শুরু নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ কী—শুরু চুলোয় যাক! এই ফাঁকে আপনাদের জানিয়ে দিই, ‘জয়া’ নামটি রেখেছিলেন তাঁর বাবা এম. এ. এস. মাসউদ। কিন্তু বাবা কি সেদিন জানতেন, একদিন কর্কট রাশির এ মেয়েটি বলবেন, ‘ঢাকা আমার খুব প্রিয়। ঢাকার ওপর সবাই এত বিরক্ত; কিন্তু আমি ভাবি, সিটি লাইফে গাড়ির কালো ধোঁয়াটা কখন নাকে এসে লাগবে।’আরেকটি তথ্য: সিটি লাইফে অভ্যস্ত জয়া চলাচল করেন গাড়িতে। তবে এ অভিনয়শিল্পীর মন পড়ে থাকে রিকশার দিকে। ‘আমি তো রিকশায় চলি। মেঘলা দিনে হয়তো কোনো বন্ধুকে ফোনে বললাম, চলো তো রিকশায় ঘুরে আসি—আমি আসলে এমনই।’ সকালবেলা ফ্লাইওভারের ওপর দাঁড়িয়ে ঢাকা শহর দেখা কিংবা হলুদ বিকেলকে সামনে নিয়ে বসে থাকা—এসবই তাঁর একান্ত ভুবন।আমরা এবার সেই ভুবন থেকে বের করে আনি তাঁকে। বলি, অভিনয়শিল্পী জয়া আহসানের কথা শুনব। মুহূর্তে এক ভুবন ছেড়ে তিনি চলে এলেন অন্য এক পৃথিবীতে। কণ্ঠে ভারিক্কি ভাব, ‘এই তো কয়েক দিন আগে সি আই আই বিগ পিকচার সামিটে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত অভিনয়শিল্পী হিসেবে দিল্লি গিয়েছিলাম। অনেকের সঙ্গে দেখা হলো সেখানে—মনিকা টাটা থেকে শুরু করে মহেশ ভাট, অশোক অমৃতরাজ, মনোজ বাজপেয়ী, বিবেক ওবেরয়। বলিউডের চলচ্চিত্রকে জনপ্রিয় করতে এটা একটি বড় উৎসব। হয়েছিল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। হলিউডের অনেকেও এসেছিলেন।’আপনি তো বেশ আসা-যাওয়ার ভেতরে আছেন। এ বছরই কান চলচ্চিত্র উৎসবে গেলেন...। আমরা কথা বলি, জয়া নিশ্চুপ।অন্য এক প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি আসলে মূল ধারার লোক নই। যখন নাটক করেছি, তখনো মূল ধারার নাট্যনির্মাতাদের সঙ্গে কেন যেন কাজ করা হয়নি; চলচ্চিত্রেও দেখি আমার একই অবস্থা...হা হা হা।’হঠাৎই হাসি থেমে গেল এরপর, ‘আমাদের দেশে অনেক ভালো তরুণ নির্মাতা আছেন। কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো লজিস্টিক সাপোর্ট ও পরিচর্যা পাচ্ছেন না। চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন নিয়ে এসে এখন বাধ্য হয়ে তাঁরা অ্যাড ফিল্ম বানাচ্ছেন—কী যে খারাপ লাগে এসব দেখে!’দুঃখটা যে কৃত্রিম নয়, গলার স্বরেই বোঝা গেল।প্রথমবার গেরিলার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ বছর পাচ্ছেন চোরাবালি ছবিতে। আর মেরিল-প্রথম আলো দর্শক জরিপ-২০১২ তেও চোরাবালি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা নারী অভিনয়শিল্পী আপনি...।‘অনুভূতি জানতে চান? হ্যাঁ, পুরস্কার পাওয়া তো অবশ্যই আনন্দের। তবে পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা তেমনভাবে কাজ করে না আমার মধ্যে। সব সময় নিজেকে ভাঙতে চাই আমি—ভেঙে আবার গড়তে চাই...এই তো।’পাদটীকা: সেদিন আমাদের কথোপকথন শেষ হয়নি। জয়া আহসানকে বলেছিলাম, মুঠোফোনে বাকি কথা সেরে নেব। এর পরই আবার বললাম, আপনি তো মাঝেমধ্যেই ফোন ধরেন না। কখনো বা ফোন বন্ধ রাখেন, তাহলে কথা হবে কীভাবে?জয়ার উত্তর, ‘আই হেইট মোবাইল।’—বলেই ছড়িয়ে দিলেন মিষ্টি হাসির রোদ। আর আমাদেরও এ সময় মনে হলো, মিহি-সর্বজয়া রোদের প্রেমে পড়া মেয়েদের মুঠোফোন না ধরার বাতিক তেমন খারাপ কিছু নয়!ওহিদুর রহমানের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। হালকা গড়নের ছেলেটির মুখটা প্রচণ্ড ফুলে উঠেছে। চামড়া উঠে মাংস বেরিয়ে গেছে কোথাও। চোখ মেলতে পারছেন না তিনি। মুখ, বুকসহ দুই হাতে ব্যান্ডেজ।বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগে বাসে দেওয়া আগুনে অন্যদের সঙ্গে পুড়ে গেছে ওহিদুরের শরীরও। এ বছরই ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।ওহিদুর রহমান ওরফে বাবুর বয়স খুব বেশি হলে ২০ বছর হবে। আড়াই বছর ধরে নিখোঁজ তাঁর বাবা গণপূর্ত অধিদপ্তরের জরিপকারক হাজি ওয়াজিউল্লাহ (৮০)। বাবার খোঁজে সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ ছেলেটি ছুটে বেড়াতেন বিভিন্ন জায়গায়। এখন তাঁর সবকিছু থেমে যাওয়ার উপক্রম। চিকিৎসকেরা বলছেন, শ্বাসনালিসহ শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ওহিদুর এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।বাবার খোঁজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে, গণমাধ্যমের কার্যালয়ে ঘুরে বেড়াতেন ওহিদুর। সেই সুবাদেই তাঁর সঙ্গে পরিচয়। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে ঘাত-প্রতিঘাতে যেন বয়সের চেয়ে পরিপক্ব হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রায়ই ফোন করে বিভিন্ন ঘটনার খবর দিতেন। মাঝেমধ্যেই আসতেন প্রথম আলোর কার্যালয়েও। শুধু বলতেন, ‘ভাইয়া, বাবার লাশটা পাইলেও তো একটা কবর হইত। আমি তো অভাগা, বাবার কবরটা জিয়ারতও করতে পারব না। ওদের বলেন, আমারে খালি বাবার কবরটা করার সুযোগ দেবে। আমি সব মেনে নেব।’ওহিদুরের ফেসবুকের পাতায় তাঁর বাবার অনেক ছবি আছে। সেখানে মাঝেমধ্যেই তিনি বাবার কথা লিখে সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। সর্বশেষ ঈদের আগে ফেসবুকের পাতায় ওহিদুর লিখেছেন, ‘বাবা ছাড়া আরেকটা ঈদ কাটালাম। যত আনন্দ করি না কেন, প্রতিটা কদমে বাবা না থাকার কষ্টটা অনুভব করলাম। আল্লাহ তুমি বাবাকে সুখে রাখিও।’সেই ওহিদুর এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ধুঁকছেন। মুখে অক্সিজেন মাস্ক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা খুব খারাপ।ওহিদুরের ভাই মজিবর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকেই ওহিদুর অনেক সংবাদকর্মীর নাম ধরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন। গতকাল দুপুরে মজিবর প্রথম আলোর প্রতিবেদকসহ দুজন সংবাদকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ডে ঢুকে ওহিদুরের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেন। চোখ মেলতে পারছেন না তিনি। তবে গলার স্বর শুনেই চিনে ফেলেছেন এই প্রতিবেদককে। হাত নেড়ে ইশারা দিলেন কাছে যাওয়ার জন্য। কাছে যেতেই বললেন, ‘ভাইয়া, আমি তো পুরো ঘটনা বলতে পারব না। পাশের বেডের আন্টি পুরো ঘটনা দেখেছেন। আপনি ওনার ইন্টারভিউ নেন।’ চোখ ভিজে এল।মা সালেহা খাতুন, ভাই মজিবর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন। চোখের সামনেই যেন তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে ওহিদুরের জীবনীশক্তি। কারোরই কিছু করার নেই, দোয়া করা ছাড়া।দশম সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলামের প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটপাটকেলে আহত হন প্রার্থী ও তাঁর গাড়ির চালক। এ অবস্থায় তাঁরা সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।গতকাল সোমবার রাত ১০টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘোষেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল ইসলামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ এলাকায়। তিনি লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে এবারের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।গতকাল তাঁর চাঁদপুর থেকে লঞ্চে ঢাকায় আসার পরিকল্পনা ছিল। এজন্য তিনি রামগঞ্জ থেকে চাঁদপুরে যাচ্ছিলেন।পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে গাড়ি নিয়ে ঘোষেরহাট এলাকা অতিক্রম করার সময় একদল দুর্বৃত্ত সফিকুল ইসলামের পথরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা সফিকুল ইসলামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুর্বৃত্তের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে সফিকুল ইসলামসহ দুজন আহত হন।চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। |
ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রয়াত সদস্য প্রিন্সেস ডায়ানা তাঁর বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের জন্য গোপন এক ভিডিও বার্তা রেকর্ড করে গিয়েছিলেন। কেননা, নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত ছিলেন।উইলিয়ামের বাবা প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লসের সাবেক স্ত্রী ডায়ানার এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে কথিত ওই গোপন ভিডিওর কথা লিখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী গ্লোব।পত্রিকার খবর অনুযায়ী ওই ভিডিও বার্তায় উইলিয়াম ও তাঁর ভবিষ্যৎ স্ত্রীর (উইলিয়াম বিয়ে করেছেন ডায়ানার মৃত্যুর অনেক পর) উদ্দেশে ডায়ানা বলেছেন, ‘তোমাদের সন্তানদের যত্ন করে লালনপালন করবে...আমার কথা বলবে। বলবে, আমি তাদের অনেক ভালোবাসি।’উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটনকে কখনোই দেখেননি ডায়ানা। গ্লোব জানিয়েছে, ছেলের হবু স্ত্রী সম্পর্কে ডায়ানার প্রত্যাশা ছিল, সে অনেক সুন্দর আর চটপটে হবে।ছেলের বউ সম্পর্কে ডায়ানা বলেছেন এভাবে, ‘আমি জানি, তোমাকে আমি অনেক পছন্দ করব এবং আমরা খুব ভালো বন্ধু হব। কিছু কিছু দিক দিয়ে তুমি হবে অনন্যা।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া।কিশোরী মায়েরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোট প্রজনন হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সার্বিক সাফল্য আছে। কিন্তু কিশোরী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রজনন হার কমছে না। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যার চাপ কমাতে হলে বাল্যবিবাহ কমাতে হবে।জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) বলছে, বিশ্বে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। বাংলাদেশ এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছে না।বাল্যবিবাহ কমাতে একাধিক মন্ত্রণালয় কাজ করলেও বিক্ষিপ্ত সেই সব কাজ সমস্যার তুলনায় অপ্রতুল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিবাহকে জনসংখ্যার সমস্যা হিসেবে দেখে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৭০ লাখ। নগররাষ্ট্র বাদ দিলে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৫ জন মানুষ বাস করে। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অনেকে মনে করেন, সম্পদের তুলনায় অধিক জনসংখ্যা বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বড় বাধা।পরিস্থিতি: বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশ নারীর বিয়ে হয়। গ্রামে এই হার ৭১ এবং শহরে ৫৪ শতাংশ। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জাতীয় জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ‘চাইল্ড ম্যারেজ ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এ বছর প্রকাশিত ওই জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার সঙ্গে বাল্যবিবাহের সম্পর্ক আছে। ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে হওয়া নারীদের ৮৬ শতাংশ নিরক্ষর।দুই দশক ধরে অবস্থা প্রায় একই রকম আছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) জ্যেষ্ঠ গবেষক সুব্রত ভদ্র বলেন, ১৯৯৩ সালে দেশে নারীদের বিয়ের গড় বয়স ছিল ১৫ দশমিক ৩ বছর। আর ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৬ বছরে। তিনি বলেন, ‘দুই দশকে বিয়ের বয়স বেড়েছে মাত্র এক বছর চার মাস। অর্থাৎ অগ্রগতি সামান্যই।’কিশোরী মায়ের প্রজনন হার কমছে না: ‘চাইল্ড ম্যারেজ ইন বাংলাদেশ’ গবেষণার সহগবেষক এবং আইসিডিডিআরবির জনসংখ্যা, নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তন কেন্দ্রের সহযোগী বিজ্ঞানী কামরুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, আগে বিয়ে মানেই আগে গর্ভধারণ ও শিশুর জন্মদান। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, কিশোরী মায়েরা দ্বিতীয় সন্তানও আগে আগে নেয়। এদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি।সুব্রত ভদ্র দুই দশকের তথ্য তুলনা করে দেখেছেন, মোট শিশু জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে কিশোরী মায়েদের অংশটি বাড়ছে। ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া ৩২ লাখ ৭৮ হাজার শিশুর মধ্যে কিশোরী মায়েরা জন্ম দিয়েছিল ২৬ শতাংশ। ২০১১ সালে জন্ম নেওয়া ৩২ লাখ ৬২ হাজার শিশুর মধ্যে কিশোরী মায়েরা জন্ম দেয় ২৯ শতাংশ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ জনসংখ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে মূলত মোট প্রজনন হার (টোটাল ফার্টিলিটি রেট—টিএফআর) কমানোর মাধ্যমে। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ বলছে, স্বাধীনতার পরপর দেশে টিএফআর ছিল ৬ দশমিক ৩। অর্থাৎ একজন মা গড়ে ছয়টির বেশি শিশুর জন্ম দিতেন। ১৯৯৩ সালে টিএফআর কমে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৪। ২০১১ সালে হয় ২ দশমিক ৩।সুব্রত ভদ্র বলেন, গত দুই দশকে প্রজননক্ষম নারীদের মধ্যে টিএফআর কমেছে ৩২ শতাংশ। কিন্তু বয়সভিত্তিক শ্রেণী বিভাজনে দেখা যায়, ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে কমেছে মাত্র ১৬ শতাংশ। আর ২০-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২২ শতাংশ কমেছে। ৩৫-৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে, ৬৩ শতাংশ। ২৫-২৯ বছর ও ৩০-৩৪ বছর বয়স শ্রেণীতে কমেছে যথাক্রমে ৩২ ও ৪৭ শতাংশ।কাজ কী হচ্ছে: বাল্যবিবাহ কমানো বা বন্ধের ব্যাপারে জাতীয়ভিত্তিক প্রচার-প্রচারণা নেই। তবে একাধিক মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।জানতে চাইলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) গণেশ চন্দ্র সরকার বলেন, ২৪২টি উপজেলায় একটি করে স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের সচেতন করার কাজ তাঁরা শিগগিরই শুরু করবেন।মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম জানান, দেশের ৪০০ উপজেলায় ৪০০ কিশোর-কিশোরী ক্লাব আছে। এ ছাড়া অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সারা দেশে আরও তিন হাজার এ রকম ক্লাব আছে। এসব ক্লাবে বাল্যবিবাহের খারাপ দিক নিয়ে কিশোর-কিশোরীদের সচেতন করা হয়। এ ছাড়া স্কুল বা কলেজ থেকে ঝরে পড়া প্রায় ১০ হাজার কিশোরীকে বৃত্তিমূলক কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মেয়েদের বিনা বেতনে শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ বাল্যবিবাহ কমাতে সহায়তা করছে।বাংলাদেশে কিশোরীর সংখ্যা দেড় কোটির মতো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পপুলেশন কাউন্সিলের এদেশীয় পরিচালক ওবায়দুর রব বলেন, সমস্যার তুলনায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ অপ্রতুল। তিনি বলেন, মেয়েদের কলেজে পড়ার হার বাড়লে বাল্যবিবাহ কমবে। দেখা গেছে, মেয়েরা শিক্ষিত হলে দেরিতে বিয়ে হয়। এ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির আওতায় জাতীয়ভিত্তিক প্রচার দরকার।‘আম্মা কাইন্দেন না’—বেলা তিনটার দিকে শুধু এটুকুই বলতে পেরেছিলেন রবিন মাতবর।বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ছেলে রবিনের পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার ভোরে মাদারীপুরের শিবচর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসেন মা আকলিমা বেগম। ছেলের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে বাইরে নিয়ে যান।আকলিমা বেগম জানতে চান, ‘আমার পোলার কী হইছে?’ কিছু হয়নি—বলে স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান অন্য কক্ষে। কিছুক্ষণ পর খবর আসে, রবিন আর নেই। আকলিমা বেগম চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন।পোশাকশ্রমিক রবিন মাতবর (২২) ছিলেন বিহঙ্গ পরিবহনের সেই বাসটিতে, যেই বাসের ১৯ যাত্রীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগে পেট্রলবোমা মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে রবিনের ফুফাতো ভাই নাহিদ মোড়ল বৃহস্পতিবার রাতেই মারা গেছেন।আহতদের একজন বৃহস্পতিবার রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। চিকিৎসাধীন ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জনেরই মাথা, মুখ, গলাসহ শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে চারজন নারী। এদের সবার জীবন রক্ষার যুদ্ধ চলছে বার্ন ইউনিটে। রবিনের স্ত্রী মাবিয়া আক্তার পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা। স্ত্রীকে দেখতে মাদারীপুর গিয়েছিলেন রবিন। বৃহস্পতিবার ছিল বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৭১ ঘণ্টা অবরোধের শেষ দিন। বাড়ি থেকে নাহিদসহ ঢাকা হয়ে সাভারে কর্মক্ষেত্রে ফিরছিলেন রবিন। পথে এ বীভৎসতার শিকার হন তাঁরা।রবিনের শ্বশুর নান্দু ঢালি কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, ‘এক আগুন কয়ডা পরিবাররে জ্বালাইব?’গত ২৬ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত আগুন, পেট্রলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। শুধু যানবাহনে দেওয়া আগুন ও পেট্রলবোমা হামলায় পুড়েছেন অন্তত ৫৫ জন। মারা গেছেন আটজন।শাহবাগের হামলায় দগ্ধ ১৬ জন এখন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। দুজন ছাড়া সবারই শ্বাসনালি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খুবই শঙ্কার বিষয়। সব মিলিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সহিংসতায় দগ্ধ ৩১ জন এখন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এঁদের সবাই বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রী।রবিনের স্বজনদের আহাজারি-কান্নায় বার্ন ইউনিটে হূদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কান্নার শব্দ আর রবিনের মৃত্যুর খবর পৌঁছে যায় পাশের পোস্টঅপারেটিভ ওয়ার্ডে। আতঙ্ক বাড়ে সেখানে চিকিৎসারত দগ্ধ মানুষগুলোর মধ্যে। কাঁদতে শুরু করেন তাঁদের স্বজনেরাও। দগ্ধ লোকগুলোর কেউ কেউ চোখ খুলে দেখার চেষ্টা করছিলেন, যদিও বেশির ভাগই চোখ খুলতে পারেন না। তাঁদের কেউ কাঁপছিলেন, কেউ গোঙাচ্ছিলেন।গতকাল দুপুরে বার্ন ইউনিটের চারতলায় ওয়ার্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কুদ্দুস শরীফ আর রাজিয়া খানম। তাঁরা অগ্নিদগ্ধ ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের বাবা-মা। সাবেক সরকারি কর্মকর্তা কুদ্দুসের কোলে শফিকুলের দেড় বছরের ছেলে সাফওয়ান মাহির। মা রাজিয়া খানম মুখে আঁচলচাপা দিয়ে কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, ‘ডাক্তার তো বলে ছেলে ভালো। আমার তো মন কেমন করে। আমার শুকনা ছেলেটার শরীর ফুলে গেছে। আমার নাতিটা (শফিকুলের ছেলে) এখন বাবাকে চিনতে পারছে না। প্রতিদিন অফিস থেকে ছেলে ফিরলে নাতি বাবা বাবা বলে কোলে উঠত।’ কাঁদতে থাকেন তিনি।শ্বাসনালিসহ শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে চেহারা ফুলে উঠেছে বাসচালক ৪২ বছরের মাহাবুবেরও। তাঁর ছেলে শাহীন বাবাকে এ অবস্থায় দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেছে। জ্বর চলে আসে শিশুটির গায়ে।চালক মাহাবুবের ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাপের কথা শুনছে থিকাই শাহীনে কিছু খায় না। বাপেরে দেইখা এহন কোনো কথা কয় না, জ্বর চইলা আইছে গায়।’মাহাবুবের স্বজনেরা জানান, গাইবান্ধার নদীভাঙনের শিকার তাঁদের পরিবার। ২৫ বছর আগে যমুনা নদীর ভাঙনে তাঁরা জমি-ঘর সব হারিয়ে রাস্তায় ঘর বানিয়ে থাকা শুরু করেন। এরপর কাজের খোঁজে সব ভাই একে একে ঢাকায় চলে আসেন। মাহাবুবও ঢাকায় এসে প্রথমে বাসে হেলপারের কাজ ও পরে চালক হিসেবে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী শাহনাজ একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। একটি সন্তান নিয়ে ভালোই চলছিল তাঁদের পরিবার। এ ঘটনার কয়েক দিন আগে তাঁর বাসের কাচ ভেঙেছিল হরতালকারীরা। মাঝেমধ্যেই ঘোরের মধ্যে কথা বলছেন তিনি।মাহাবুবের সঙ্গে তিন মাস ধরে একই বাসে কাজ করছিলেন সহকারী হাফিজুল। হাসপাতালের চারতলার বিছানায়ও এ দুজনের স্থান হয়েছে পাশাপাশি। অন্যদের তুলনায় হাফিজুলের ক্ষতি কম হয়েছে।জানতে চাইলে হফিজুল বলেন, ‘আমি ভাড়া কাটতাছিলাম। ওস্তাদে গাড়ি চালাইতাছে। হঠাৎ কইরা সামনে থিকা আগুন। ওস্তাদে হাফিজ কইরা ডাক পাড়ল শুনলাম। গাড়ি ছিল চাইর নম্বর গিয়ারে। অনেক মানুষ। যে যেভাবে পারছে নামছে। আমি জানলা দিয়া লাফ দিছি।’আগুন কোন দিক থেকে আসছে জানতে চাইলে হাফিজুল বলেন, ‘কীভাবে বলব! খালি একটা শব্দ হইছে।’ হাফিজুলের কথা শেষ হওয়ার আগেই পাশ থেকে ঘোরের মধ্যেই তাঁকে ধমকে দিলেন চালক মাহাবুব। বলে উঠলেন, ‘এই ব্যাটা হাফিজুলটা একটা বদমাইশ। তুই ভালো হবি না। কালকে থাকি বলতাছি বোমা মারছে সামনে দিয়া, গিলাস ভাইঙা আগুন ভিতরে ঢুকছে। আর ওই ব্যাটা বলে কিছু জানে না।’ স্বজনেরা ধমকে থামিয়ে দিলেন মাহাবুবকে।হাফিজুল বলেন, ‘দুই নেত্রী একবার মিট করলেই এইয়া হয় না। আমরা গরিবেরা আগুনে পুড়ি না।’মো. শামীমের শ্বাসনালিসহ শরীরের ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে। মুখ-হাত-বুকে ব্যান্ডেজ। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। চোখ বন্ধ। পাশে থাকা তাঁর ভাই মো. ইকবাল বললেন, কেরানীগঞ্জের গুদারাঘাটে প্যান্টের শোরুমে চাকরি করেন তিনি। কেরানীগঞ্জেই থাকেন। ছোট ভাই মো. ইমরানের নতুন দোকান দেখতে ওই বাসে করে মিরপুর যাচ্ছিলেন তিনি।মাত্র চার মাস আগেই বিয়ে হয়েছে রুপালি ব্যাংকের কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারের। তাঁর শরীরের ১৭ ভাগ পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি।ঢাকায় কখনো আসা হয়নি কৃষক রফিকুল ইসলামের। গত বৃহস্পতিবার পাবনার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেই দেখতে হলো বড় ছেলে মো. রাহাজুলের দগ্ধ-বীভৎস মুখ। শরীরের ২৫ ভাগ পুড়ে গেছে তাঁর। রাহাজুল পান্থপথে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে নিজেই লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছিলেন।বেডে শুয়ে সংসারের কথা বলতে বলতে বিলাপ করে চলেছেন আবদুর রাজ্জাক। শরীরের ১৫ ভাগ পুড়ে গেছে। পাশে স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছেই চলেছেন চোখের পানি।আবদুর রাজ্জাক বলেন, তাঁর চার মেয়ে কলেজ ও স্কুলে পড়ে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার গাড়ি চালিয়ে যা উপার্জন করেন, তা দিয়েই চলে সংসার। পরিবার নিয়ে থাকেন পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে। ইস্কাটনে গ্যারেজে থাকা গাড়ি বের করতে যাচ্ছিলেন তিনি।কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের শরীরের ২৬ ভাগ পুড়ে গেছে। কাঁচামাল বিক্রির টাকা তুলে সদরঘাট থেকে কারওয়ান বাজার যাচ্ছিলেন তিনি।ব্যস্ততার কারণে মাকে দেখা হয়ে ওঠে না পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারের স্যানিটারি ব্যবসায়ী আবু তালহার। একটু ফুরসত পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বাসে চড়ে মিরপুরে মাকে দেখতে যাচ্ছিলেন তিনি। শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় এখন তিনি কাতরাচ্ছেন বার্ন ইউনিটে। পাশে আতঙ্কিত স্ত্রী নূরজাহান বেগম কাঁদতে কাঁদতে টিস্যু দিয়ে স্বামীর রক্ত-পুঁজ মুছে দিচ্ছিলেন।অবরোধের কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি বের করেননি ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী খোদেজা নাসরিন আক্তার। আদালত থেকে বাসে করেই পরিবাগের বাসায় ফিরছিলেন তিনি। শরীরের ২১ ভাগ পুড়ে গেছে তাঁর।পুলিশের এএসআই ৫৫ বছরের নুরুন্নবীর মাথার খুলিও ফেটে গেছে। তাঁরও শ্বাসনালিসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।এ দগ্ধ ব্যক্তিদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকেরা। স্বজনেরা চিকিৎসকদের কাছে অবস্থা জানতে চাচ্ছেন বারবার। চিকিৎসকেরা তাঁদের আশ্বাস দিয়ে চলেছেন।বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, ‘আগুনে পোড়া রোগীদের বিষয়ে কিছু বলা কঠিন। শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা কখন যে খারাপ হয় বলা যায় না। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না এখানে।’এ সময়ের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতিটা প্রায় পেয়েই গেছেন লিওনেল মেসি। টানা চারবার ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আগামী বছর আর্জেন্টাইন তারকার সামনে আছে আরও অনেক কিছুর হাতছানি। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপটা জিততে পারলে সর্বকালের সেরাদের তালিকায়ও নাম লিখিয়ে ফেলতে পারবেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সেজন্য নতুন বছরের জন্য মেসির একটাই চাওয়া: নতুন করে যেন আর ইনজুরির কবলে না পড়তে হয়।এ বছর ইনজুরিটা বেশ ভালোই ভুগিয়েছে লিওনেল মেসিকে। দফায় দফায় ইনজুরির কবলে পড়ে ২০১৩ সালটা খুব একটা ভালোও কাটেনি আর্জেন্টাইন তারকার। বছরের শেষ ভাগে বার্সেলোনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে বিতর্কও ছড়িয়েছেন। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে এখন নতুন বছরের দিকেই তাকিয়ে আছেন মেসি। নতুন বছরে যেন নতুন করে আর ইনজুরির কবলে না পড়তে হয়, সেই প্রার্থনাই করছেন আর্জেন্টাইন তারকা, ‘নতুন বছরে ব্যক্তিগতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসই চাওয়ার আছে, কিন্তু খেলাধুলার দিক বিবেচনায় আমি চাইব ২০১৪ সালটা যেন ইনজুরিমুক্ত থাকতে পারি।’আগামী বছরের শুরুতেই ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন মেসি। বছরের প্রথম দিনটা আর্জেন্টিনায় বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে কাটানোর পর ২ জানুয়ারি বার্সেলোনায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ জানুয়ারি লা লিগার ম্যাচে এলচের বিপক্ষে মাঠে নামারও সম্ভাবনা আছে মেসির।কাতালানদের মতো আর্জেন্টাইনরাও নিশ্চয়ই চাইবেন মেসি যেন ইনজুরিমুক্ত থাকতে পারেন ২০১৪ সালে। আগামী বছর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মিশনের কেন্দ্রেই যে থাকবেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। |
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের ডাকা কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি। তবে প্রত্নতত্ত্ব, ইংরেজি, দর্শন ও ইতিহাস বিভাগে ক্লাস হয়েছে।বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে গত শনিবারের চেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্বাধীন সেন বলেন, ‘কর্মবিরতি কর্মসূচির ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি এটা সমর্থন করি না। তাই ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছি।’শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কর্মবিরতি কর্মসূচি পরিবর্তন করা হবে কি না, জানতে চাইলে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের সদস্যসচিব মুহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা ভেবে দেখছি। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’শিক্ষক লাঞ্ছনার যথাযথ বিচার না হওয়া, গণমাধ্যমে উপাচার্যের অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রদানসহ ১৬টি অভিযোগ তুলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ।আগামী ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর হরতাল, না অবরোধ, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। বিএনপির স্থায়ী কমিটি ওই তিন দিন অবরোধ পালনের কথা বললেও জোটের শরিকেরা হরতাল দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।বিএনপি ও জোটের শরিকদের ভিন্নমতের কারণে ওই কর্মসূচি নির্ধারণের সব ক্ষমতা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।গতকাল বুধবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের সভাপতিত্বে ১৮-দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তিন দিন অবরোধ পালনের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্তের কথা শরিক দলের নেতাদের জানানো হয়। শরিক দলের নেতাদের অনেকেই অবরোধের পরিবর্তে হরতাল দেওয়ার কথা বলেন।শরিক একটি দলের নেতা বলেন, যুক্তি হিসেবে এখনই অবরোধ না দেওয়ার কথা বলা হয়। অবরোধ সফল করাও কঠিন বলে উল্লেখ করা হয়। এ ধরনের কর্মসূচি আরও পরে দেওয়ার ব্যাপারে মত দেওয়া হয়। ওই নেতা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছেন, একই ধরনের কর্মসূচি বারবার দেওয়ার চেয়ে অবরোধ দেওয়া ভালো। হরতাল এখন আর মানুষ সেভাবে গ্রহণ করতে পারে না। কর্মসূচি দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুনত্ব থাকা উচিত।১৮ দলের শরিকেরা হরতাল দিয়ে পরীক্ষা হরতালের আওতামুক্ত রাখার ব্যাপারেও মত দেন।বৈঠকে ১৮ দলের শরিক এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই পুরোনো। তবে ৪৯ জন সাংসদ মনোনয়নের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এঁদের মধ্যে ছয়জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের ধানমন্ডির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার এবার মনোনয়ন পাননি। তবে এ কে খন্দকার নিজে থেকেই নির্বাচন করতে চাননি। টানা ছয়বার নির্বাচিত সাংসদ এনামুল হক মোস্তফা শহীদ অসুস্থতার কারণে মনোনয়ন চাননি।এ ছাড়া পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির কারণে আলোচিত-সমালোচিত সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন দলীয় মনোনয়ন পাননি। তাঁর স্থলে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মনোনয়ন পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন বিতর্কিত সাংসদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও গোলাম মওলা রনিও।দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন। দলের আর কেউ একাধিক আসনে থেকে মনোনয়ন পাননি। তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুর আসনে (কুষ্টিয়া-২) আওয়ামী লীগের কেউ মনোনয়ন চাননি।মনোনয়ন ঘোষণার আগে সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নির্বাচনের বিকল্প নেই। আশা করি, সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শরিক হবে। তিনি বলেন, দলের যাঁরা মনোনয়ন চেয়েছেন, তাঁরা সবাই যোগ্য। কিন্তু সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সংসদীয় বোর্ড মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে।মনোনয়ন ঘোষণার পর সৈয়দ আশরাফ দলের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরীসহ কয়েকজনের হাতে চিঠি তুলে দেন।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্যাহ, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, উপদপ্তর সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। বিতর্কিত শামীম ওসমান মনোয়ন পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে। এ আসনের বর্তমান সাংসদ চিত্রনায়িকা সারাহ বেগম কবরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।বাদ পড়েছেন সাভারের সাংসদ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদও। এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. এনামুর রহমান। তালিকায় নতুন মুখ হিসেবে আছেন সাবেক ক্রিকেটার নাইমুর রহমান দূর্জয় ও ফুটবলার আরিফ খান জয়।বাদ পড়লেন যাঁরা: রংপুর-৬ আবুল কালাম আজাদ, ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মোহাম্মদ এনামুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ জিয়াউর রহমান, রাজশাহী-৩ মেরাজউদ্দিন মোল্লা, নাটোর-২ আহাদ আলী সরকার, সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-৪ শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-২ এ কে খন্দকার, মেহেরপুর-১ জয়নাল আবেদীন, কুষ্টিয়া-৩ কে এইচ রশিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া-৪ সুলতানা তরুন, ঝিনাইদহ-৪ আবদুল মান্নান, যশোর-২ মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ, যশোর-৩ খালেদুর রহমান টিটো, যশোর-৬ শেখ আবদুল ওহাব, নড়াইল-২ এস কে আবু বাকের, বাগেরহাট-৩ বেগম হাবিবুন্নাহার, খুলনা-১ ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-৪ মোল্লা জালালউদ্দিন, খুলনা-৬ সোহরাব আলী সানা, সাতক্ষীরা-১ শেখ মুজিবুর রহমান, পটুয়াখালী-৩ গোলাম মওলা রনি, বরিশাল-২ মনিরুল ইসলাম, পিরোজপুর-২ শাহ আলম, জামালপুর-৪ মুরাদ হাসান, ময়মনসিংহ-২ হায়াতুর রহমান খান, ময়মনসিংহ-১০ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, নেত্রকোনা-১ মোসতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-২ আশরাফ আলী খান, নেত্রকোনা-৩ মঞ্জুর কাদের কোরাইশি, কিশোরগঞ্জ-২ এম এ মান্নান, মানিকগঞ্জ-১ এ বি এম আনোয়ারুল হক, মানিকগঞ্জ-২ এস এম আবদুল মান্নান, মুন্সিগঞ্জ-৩ এম ইদ্রিস আলী, ঢাকা-১৯ তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আবদুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ সারাহ বেগম কবরী, ফরিদুপুর-৪ নীলুফার জাফরউল্যাহ, মাদারীপুর-৩ সৈয়দ আবুল হোসেন, সুনামগঞ্জ-৪ মতিউর রহমান, সিলেট-৫ হাফিজ আহমদ মজুমদার, হবিগঞ্জ-৪ এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, চাঁদপুর-২ রফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ এ বি এম আবুল কাসেম।নতুন মনোনয়ন পেলেন যাঁরা: ঠাকুরগাঁও-৩ ইমদাদুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ গোলাম রব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, রাজশাহী-৩ আয়েনউদ্দিন, নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আবদুল মজিদ মণ্ডল, পাবনা-২ খন্দকার আজিজুর রহমান, মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ, ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম, যাশোর-২ মনিরুল ইসলাম, যাশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৬ ইসমত আরা সাদেক, নড়াইল-২ এস এম আশিকুর রহমান, বাগেরহাট-৩ তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-১ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৪ মোস্তফা রশিদী সুজা, খুলনা-৬ শেখ মো. নুরুল হক, সাতক্ষীরা-১ এ বি এম নজরুল ইসলাম, পটুয়াখালী-৩ আ ক ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ তালুকদার মো. ইউনুস, পিরোজপুর-২ ইসহাক আলী খান, জামালপুর-৪ নুরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, নেত্রকোনা-১ ছবি বিশ্বাস, নেত্রকোনা-২ আরিফ খান জয়, নেত্রকোনা-৩ ইফতেকার উদ্দিন তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-২ সোহরাবউদ্দিন, মানিকগঞ্জ-১ নাইমুর রহমান দূর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা-১৯ ডা. এনামুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ মোশাররফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, ফরিদপুর-৪ কাজী জাফরউল্যাহ, মাদারীপুর-৩ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সুনামগঞ্জ-৪ এনামুল কবীর, সিলেট-৫ মাশুক উদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জ-৪ মাহবুব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান।এ ছাড়া অন্য আসনগুলোতে বর্তমান সাংসদেরাই প্রার্থী থাকছেন।আ.লীগের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা ৬ মন্ত্রীসহ ৪৮ সাংসদ বাদজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুহাম্মদ আবদুস সুবহানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আগামী ২৮ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। এ সময় সুবহান এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।এজলাসে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও অপহরণের নয়টি অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর ট্রাইব্যুনাল সুবহানের কাছে জানতে চান—তিনি দোষী না নির্দোষ। সুবহান নিজেকে নির্দোষ দাবি করলে ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।গত ১৫ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগসহ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ২ অক্টোবর থেকে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পাবনার একটি ফৌজদারি মামলায় সুবহানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করলে ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক দেখানো হয়। ওই সময় থেকে তিনি কারাগারে আছেন। |
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কয়ড়াখোলা এলাকায় বালুবাহী একটি বাল্কহেড থেকে গত শনিবার দিবাগত রাতে ৫০০ বান্ডিল ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিস জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। কোস্টগার্ডের পাগলা স্টেশন কমান্ডার সাব লেফটেন্যান্ট হাসানুর রহমান জানান, শনিবার রাত একটার দিকে কয়ড়াখোলা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে তাঁর নেতৃত্বে একটি দল বাল্কহেড এমভি শুভা মরিয়ম আটক করে। টের পেয়ে বাল্কহেডের লোকজন পালিয়ে যান। তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ বান্ডেল ভারতীয় অবৈধ শাড়ি ও থ্রি-পিস জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া কাপড়ের দাম ১০ কোটি টাকা। মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিপ্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন’ পাসের উদ্যোগ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আবার সংগঠিত হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে আগামী নভেম্বর মাসে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য এসব কর্মসূচির তারিখ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।হেফাজতের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, আগামী ১৫ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে কওমি মাদ্রাসা-ভিত্তিক সংগঠনটির। ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে একাধিক বিভাগীয় শহরে সমাবেশ বা শানে রেসালত সম্মেলন করা হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিলেট ও খুলনায় সমাবেশ করার লক্ষ্যে স্থানীয় হেফাজত নেতাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এর আগে আগামী শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পার্বতী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশ করার ঘোষণা রয়েছে।জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী স্বীকার করে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব বিভাগীয় শহরে আমরা সমাবেশ করব। এর মধ্যে ১৫ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’গতকাল বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতের ঢাকা মহানগর কমিটি আগামী শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। পরে সন্ধ্যায় হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী শুক্রবারের এই কর্মসূচি স্থগিত করার নির্দেশ দেন।এর কারণ জানতে চাইলে মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন, একই দিন আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল ও বিরোধী দলের কর্মসূচি রয়েছে। তাই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এড়াতে শুক্রবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে অন্যান্য কর্মসূচি বহাল আছে।আল্লাহ, পবিত্র কোরআন, মহানবী (স.) ও ইসলামের অনুশাসনের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারী কথিত ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে গত এপ্রিল থেকে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। তবে সংগঠনটি পুরোনো ১৩ দফার সঙ্গে এবার সামনে আনছে সরকারের প্রণীত প্রস্তাবিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনকে।কওমি আলেমদের বড় একটি অংশ মনে করছে, এই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকার মূলত কওমি মাদ্রাসাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব আরোপের জন্য একটি আইনি বাধ্যবাধকতায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। তাই শুরু থেকেই কওমি ধারার আলেমরা সরকারের এই কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন পাসের উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছেন। এ আইন পাস হলে ‘দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে’ বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে বক্তব্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফী।এদিকে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইনটি পাস করার লক্ষ্যে এর খসড়া অনুমোদনের জন্য গত সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিবেচিত বিষয়ের তালিকায় রাখা হয়েছিল। পরে তা প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেছেন, আইনটি আরও যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।হেফাজতে ইসলামের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, তাঁদের আশঙ্কা, সরকার যেকোনো সময় এ আইন পাস করিয়ে নিতে পারে। এ জন্য তাঁরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা জানান, ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন, আলেম-ওলামাদের নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন পাস না করার দাবিতে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামবেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে হরতালের মতো কর্মসূচিও আসতে পারে।এর আগে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ এবং এরপর ৫ মে ঢাকা অবরোধের পর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। অবশ্য ৫ মে মধ্যরাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযানের মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় হেফাজত। এর ছয় মাসের মাথায় সংগঠনটি আবার সক্রিয় হতে যাচ্ছে।কাম্বলির হার্ট অ্যাটাকছোটবেলার বন্ধু শচীন টেন্ডুলকার এই সেদিন অবসরে গেছেন। কিন্তু তাঁর যেমন ফিটনেস আছে তাতে আরও কিছুদিন নিশ্চিন্তে খেলতে পারতেন। অথচ তাঁরই সমবয়সী বিনোদ কাম্বলি কিনা হার্ট অ্যাটাকে হাসপাতালে ভর্তি। গাড়িতে বান্দ্রায় যাওয়ার পথে গতকাল হঠাৎই হার্ট অ্যাটাক হয় সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যানের। এক ট্রাফিক পুলিশ দেখে জলদি হাসপাতালে নিয়ে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে স্থিতিশীল আছেন কাম্বলি। চিকিৎসকেরাও আশ্বস্ত করেছেন, আপাতত ভয়ের কিছু নেই। দেশের হয়ে ১০৪ ওয়ানডে ও ১৭ টেস্ট খেলা কাম্বলি গত বছরও হূদ্যন্ত্রের ধমনিতে ব্লক ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। ওয়েবসাইট।ডায়াবেটিসজয়ী আকরামখেলোয়াড়ি দিনগুলোতে ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক ছিলেন। কিন্তু অবসরের পরেও লড়াইটা থামেনি ওয়াসিম আকরামের! প্রতিপক্ষ এখন ডায়াবেটিস নামের ব্যাধি। ১৬ বছর দীর্ঘ লড়াইয়ে হার মানেননি। আর এর স্বীকৃতিও পাচ্ছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার। মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত কংগ্রেসে ডায়াবেটিসজয়ী ক্রীড়াবিদ হিসেবে পাচ্ছেন বিশেষ পুরস্কার। ডায়াবেটিসজয়ী আকরামের এখনকার ইচ্ছা, এবার অন্য ডায়াবেটিস রোগীদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্যও কাজ করবেন। ওয়েবসাইট।বিকল্প নারাইনশেন শিলিংফোর্ড আর মারলন স্যামুয়েলসের বোলিং অ্যাকশন আতশি কাচের নিচে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দুই অফ স্পিনারই গেছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে প্রথম টেস্ট খেলতে অবশ্য বাধা নেই। কিন্তু পরীক্ষায় উতরাতে না পারলে সিরিজের বাকি দুই টেস্টে খেলতে পারবেন না। তাঁদের বিকল্প হিসেবে তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন অফ স্পাির সুনীল নারাইন। মঙ্গলবার শুরু প্রথম টেস্টেই তিনি খেলবেন কি না, সেটা অবশ্য নিশ্চিত নয় এখনো। ওয়েবসাইট।স্টেইন-ক্যালিসের চোটকেপটাউনের প্রথম ওয়ানডেতেই কিছুটা সমস্যা অনুভব করছিলেন শরীরের বাঁ দিকে। কিন্তু সেটিকে পাত্তা না দিয়েই পোর্ট এলিজাবেথের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও খেলেছেন ডেল স্টেইন। শুধু তা-ই নয়, করেছেন ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার-সেরা বোলিংও। লাভ হয়নি যদিও, দুটি ওয়ানডেতেই হেরে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গে আরও দুঃসংবাদ—আজ সম্মান বাঁচানোর শেষ ম্যাচে স্টেইনকেও পাবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। মাংসপেশিতে টান লাগায় দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। আঙুলে চোট পাওয়ায় শেষ ওয়ানডেতে খেলা হবে না প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসেরও। ওয়েবসাইট।সালমান খান, শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত থেকে শুরু করে বলিউডের প্রথম সারির অনেক তারকাই ছোটপর্দায় কাজ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভারী করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত ছোট পর্দার কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেননি এক সময়ের পর্দাকাঁপানো চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কাজল। সম্প্রতি ‘মুম্বাই মিরর’-এর এক খবরে বলা হয়েছে, অবশেষে কাজল ছোটপর্দায় কাজের প্রস্তাব পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, ২৭ পর্বের টিভি সিরিজটিতে অভিনয়ের পারিশ্রমিক বাবদ ১৫ কোটি রুপি দর হেঁকেছেন এ তারকা অভিনেত্রী।নারীকেন্দ্রিক টিভি সিরিজটির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে একা একজন মাকে ঘিরে, যিনি দিল্লির একটি যৌথ পরিবারে বসবাস করেন। সিরিজটিতে কাজলকে নেওয়ার জন্য সব রকম চেষ্টাই করেছেন ‘কুরবান’খ্যাত বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার রেনসিল ডি’সিলভা।টিভি সিরিজটির বিষয়বস্তু কাজলের দারুণ পছন্দ হলেও নির্মাতাদের কাছে বিশাল অঙ্কের পারিশ্রমিক দাবি করে বসেন তিনি। তাঁর চাহিদা অনুযায়ী ১৫ কোটি রুপি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নির্মাতারা। দর-কষাকষির এক পর্যায়ে তাঁরা কাজলকে পাঁচ কোটি রুপি দিতে চান। কিন্তু কিছুতেই দর কমাতে রাজি হননি কাজল। |
চারপাশে গাড়ি আর গাড়ি। রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাস চলছে সমানে। এগুলোর মধ্য দিয়ে ফাঁকফোকর গলিয়ে রাস্তা পারাপারের আপ্রাণ চেষ্টা চলে। যে যেভাবে পারছেন, রাস্তা পার হতে পারলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ছোট ছোট ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাবা-মায়েদের ছুটে চলার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ এলাকায় আধা কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে প্রায় ৮-১০টি বিদ্যালয়। বেশির ভাগই কিন্ডারগার্টেন স্কুল। রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শাহ ওয়ালিউল্লাহ ইনস্টিটিউট, আইডিয়াল স্কুল, সেন্ট মেরিস স্কুল, সেন্ট যোসেফ স্কুল, উদয়ন ছোটদের স্কুল প্রভৃতি। এসব বিদ্যালয় ছুটির পরে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় ছেলেমেয়েদের। বাবা-মায়েরাও তড়িঘড়ি করে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ এভাবে চলায় রয়েছে পায়ে পায়ে ঝুঁকি।ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসমত জাহান বলেন, ‘স্কুল ছুটির সময়ে গাড়িগুলোর গতিরোধ অথবা গতি পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা হলে ভালো হয়। তাহলে ছেলেমেয়েরা নির্দিষ্ট দূরত্ব নিরাপদে হেঁটে পার হয়ে যানবাহনে উঠতে পারে। এতে আর রাস্তা পারাপারে তেমন ঝুঁকি থাকবে না আশা করি।’চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আপাতত জামালখান এলাকায় স্কুলকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ দিয়ে সমস্যার সমাধান করছি। ঝুঁকি মোকাবিলায় নির্দিষ্ট সময়ে সড়ক বন্ধ রাখা অথবা ডাইভারশনের বিষয়টি ভাবিনি। বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’সড়ক চলাচলে ঝুঁকি নিরসনে করপোরেশনের পক্ষ থেকে জামালখান স্কুল এলাকায় কোনো ফুটভারব্রিজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমদ বলেন, ‘এ ধরনের কোনো পূর্বপরিকল্পনা আছে কি না আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বিষয়ে প্রস্তাব দিলে সেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।’জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজয় কিষান চৌধুরী বলেন, ‘আমি জামালখান এলাকায় ফুটওভারব্রিজ গড়ে তোলার বিষয়ে মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, এর এতটা সুফল পাব।’তিন বাহিনীর পদমর্যাদায় সমতা আনার দাবি জানিয়েছে বিমানবাহিনী। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে আয়োজিত দরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসব দাবি তুলে ধরেন কর্মকর্তারা।বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিন বাহিনীর মধ্যে সমতা আনা প্রয়োজন। শুধু সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল পদমর্যাদার এবং নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার। বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ‘উচ্চ উড্ডয়ন’ ঝুঁকি ভাতা, প্রতিরক্ষা সার্ভিস ভাতা ও অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি ছয় মাস থেকে এক বছর করার দাবি করেন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র ‘এয়ার রেজিমেন্ট’ গঠন এবং সিলেটে একটি বিমানঘাঁটি স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রসিকতা করে বলেন, ‘যেখানে যাই, সবাই খালি ভাতা বাড়ানোর কথা বলে, বেতন বাড়ানোর কথা কেউ বলে না।’ তিনি বলেন, তাঁর সরকার বিমানবাহিনীর উন্নয়নে সাধ্যমতো কাজ করেছে। আবার ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হবে। বাহিনীতে অবসরকালীন প্রস্তুতি ছুটির মেয়াদ এক বছর করার প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন করেন তিনি। তিন বাহিনীর পদমর্যাদার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর সব বাহিনীর পদমর্যাদা একই ছিল। পরে সব ওলটপালট হয়ে যায়।দরবারে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল ইনামুল বারী, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার আবু বেলাল মো. শফিউল হকসহ বিমানবাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য উপস্থিত ছিলেন। রানওয়ের ওপর তাঁবু খাটিয়ে তাঁদের বসার ব্যবস্থা করা হয়।দরবারের শুরুতে স্বাগত ভাষণ দেন বিমানবাহিনীর প্রধান। তিনি বলেন, বিমানবাহিনী দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে। এসব জনশক্তি আকাশ প্রতিরোধব্যবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। বিমানবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি।এরপর প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী বাহিনীর সদস্যদের কাছে জানতে চান, তাঁদের কোনো প্রশ্ন আছে কি না। কয়েকজন সদস্য তাঁদের বিভিন্ন দাবির কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চীন থেকে ১৬টি যুদ্ধবিমান, রাশিয়া থেকে তিনটি হেলিকপ্টার কিনেছে। এ ছাড়া ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, পরিবহন বিমান কেনা হয়েছে। আরও ৩৬টি বিমান ও সাতটি কপ্টার কেনার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ডুবো যুদ্ধজাহাজ কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার মেরামতের জন্য আলাদা কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আরও কিছু নতুন ইউনিট স্থাপনের কথা বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, নয়টি হেলিকপ্টার ও একটি বিমান থেকে বর্তমানে বিমানবাহিনীর ৫০৬ জন কর্মকর্তা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৩ সাল থেকে বাহিনীর সদস্যরা ২৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছেন। এ সরকারের আমলেই চীন থেকে নয়টি, রাশিয়া থেকে ২৪টি বিমান, পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং আরও দুটি হেলিকপ্টার ও তিনটি প্রশিক্ষণ বিমান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চারটি বিমান প্রতিরক্ষা রাডার স্থাপন করার চুক্তি হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনীকে যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহমর্মিতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।২২ অক্টোবর ১৮৯৯। স্পেনের লস দেপোর্তেস সাময়িকীতে একটি বিজ্ঞাপন ছাপা হলো।এক ভদ্রলোক একটা ফুটবল ক্লাব গঠন করতে চান। আগ্রহী আয়োজক এবং বিনিয়োগকারীদের যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো। যোগাযোগের ঠিকানার সঙ্গে ভদ্রলোকের নামটাও দেওয়া—হুয়ান গাম্পার।অনেকেই হয়তো যোগাযোগ করেছিলেন। ১১ জনকে বেছে নিয়ে ২৯ নভেম্বর বার্সেলোনার সোল জিমনেসিয়াম ভবনে একটা বৈঠকে বসেন গাম্পার। যে ১২ জন ছিলেন সেদিন বৈঠকে তার মধ্যে ৬ জন কাতালান, ৬ জন বিদেশি। দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে নতুন একটা ফুটবল ক্লাব গঠন করার ব্যাপারে সম্মত হলেন সবাই। ওয়াল্টার ওয়াইড নামে এক সাবেক ইংলিশ ফুটবলার হলেন সভাপতি। বাসেল, জুরিখ আর ফরাসি ক্লাব লিওঁতে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সুইস ফুটবলার গাম্পার হলেন অধিনায়ক। জন্ম হলো ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার।একটা টেবিল আর কয়েকটা চেয়ার দিয়ে সাজানো সোল জিমনেসিয়ামের ছোট্ট সেই রুমে যে বার্সেলোনার জন্ম হয়েছিল সেদিন, কাল ছিল সেই ক্লাবের ১১৪তম জন্মদিন। শিরোপার হিসাবে যারা এখন স্পেনের সবচেয়ে সফল ফুটবল ক্লাব, আয়ে ইউরোপের দ্বিতীয় ধনাঢ্য।‘ক্লাবের চেয়েও বেশি কিছু’—স্লোগানটাকে মূলমন্ত্র করে নেওয়া বার্সেলোনার জন্মদিন ঘিরে ন্যু ক্যাম্পে কাল দিনভর উৎসব হয়েছে। তবে সেই উৎসবের ডামাডোলে কোচ জেরার্ডো মার্টিনো আর তাঁর খেলোয়াড়েরা ভুলে যাচ্ছেন না আসল দায়িত্ব। আগামীকালই লিগে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে। এই মৌসুমে টানা ২০ ম্যাচের পর জয়রথ থেমেছে সেদিন আমস্টারডামে, চ্যাম্পিয়নস লিগে আয়াক্সের কাছে হারে। তবে লা লিগায় এখনো অপরাজিতই আছে মার্টিনোর দল এবং সেই রেকর্ডটা ধরে রাখতে প্রতিজ্ঞ মিডফিল্ডার জাভি, ‘আয়াক্সের বিপক্ষে আমাদের খেলায় যে গভীরতার অভাবটুকু ছিল সেটা পূরণ করতে হবে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’এই চাওয়া এবং বাস্তবতার মধ্যে অবশ্য কিছুটা ফারাক আছে। চোটের কারণে বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি নেই। সান মামেসে একই কারণে থাকতে পারবেন না ভিক্টর ভালদেস, দানি আলভেস, জর্ডি আলবা ও আদ্রিয়ানোও। বার্সেলোনার এই দুর্বলতার সুযোগটাই নিতে চান বিলবাও স্ট্রাইকার আরিৎজ আদুরিজ, ‘ওরা বার্সেলোনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। দেখি, আমরা ওদের অনুপস্থিতির সুযোগটা নিতে পারি কি না।’বার্সেলোনার এক দিন আগেই আজ ভ্যালাদোলিদের বিপক্ষে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। চোট ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে খেলতে না দিলেও গ্যালাতাসারাইকে চ্যাম্পিয়নস লিগে উড়িয়ে দিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ধারণা করা হচ্ছে, আজও রোনালদোকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেবে না রিয়াল। তবে গত ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৬ গোল দেওয়া রিয়ালের জয় তাতে মনে হয় না আটকাবে। ওয়েবসাইট।দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমার আগুনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক নিজের দোকানেই পুড়ে মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।দোকানের কর্মচারী সেলিমের ভাষ্য, গতকাল সন্ধ্যার পর ওই দোকানে পেট্রলবোমা ছোড়েন বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। এ সময় তিনি ও মালিক এনামুল হক দোকানের ভেতরে ছিলেন। হার্ডওয়্যারের দোকানে পেট্রলবোমার আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বের হতে সক্ষম হলেও এনামুল পারেননি।স্থানীয় লোকজনের দাবি, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এর জের ধরে শিবগঞ্জ উপজেলার সরকার সমর্থক বিভিন্ন নেতার দোকানে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। তাদের ছোড়া পেট্রলবোমার আগুনে পুড়ে মারা যান এনামুল হক। এ ছাড়া আগুনে শিবগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে।ওই আগুনে শিবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক আবু বকরের দোকানও পুড়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন জড়িত।শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একাধিক মামলার আসামি সালাউদ্দিন যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্বৃত্তরা দোকানে আগুন দিতে পারে।জেলা বিএনপির সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক সাংসদ শাহজাহান মিয়া ‘প্রথম আলো’কে বলেন, সালাউদ্দিন তাঁদের কর্মী। তবে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি। |
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মধ্যম ওয়াহেদপুরে দুর্ঘটনার শিকার একটি ট্রেনের বগি উদ্ধারে কাজ করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় রেলের দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই স্থানে সিলেটগামী জালালাবাদ ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়।নিহত ব্যক্তিরা হলেন, রেললাইনের মিস্ত্রি মো. হারুনুর রশিদ (৫৮) ও শ্রমিক দিদারুল আলম (৫০)। শনিবার রাত দেড়টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের মাস্টার আবদুল বাতেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে গত শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় জালালাবাদ ট্রেনটি ছেড়ে আসে। রাত সাড়ে আটটার দিকে ওয়াহেদপুরে ট্রেনটির একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি সরিয়ে নেয়। এরপর লাইনের কাজ শেষ করতে ভোর প্রায় চারটা বেজে যায়। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।রেলওয়ে সূত্র জানায়, শনিবার রাতে লাইনচ্যুত বগি সরানোর কাজ করার সময় ফেনীগামী ট্রেনের ধাক্কায় একজন মিস্ত্রি ও একজন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত মিস্ত্রির বাড়ি ফেনীতে ও শ্রমিকের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার পোলমোগরা গ্রামে। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের জিআরপি থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে রেল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।রস টেলরকে হোটেল লবিতে পাওয়া গেল তোয়ালে পরা অবস্থায়। সুইমিং করে রুমে যাবেন। তার আগে লিফটের কাছে দাঁড়িয়ে কার সঙ্গে যেন হাসতে হাসতে কথা বলছিলেন। একটু দূরে একটা ব্যাট হাতে নাড়াচাড়া করছিলেন টিম সাউদি। আজ সম্ভবত বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়েও কিছু দিতে চাইবেন দলকে।অনুশীলনে গেলেন না কেউ। হোটেলে জিম-সুইমিং, হোটেলের উল্টো দিকের কফিশপে গিয়ে কফি খাওয়া—এর বেশি নড়াচড়া কাল করলই না নিউজিল্যান্ড দল। তাদের নির্ভার দেখে সন্দেহ জাগল, আগের দিন নিউজিল্যান্ডই জেতেনি তো ম্যাচটা?না, জিতেছে বাংলাদেশ এবং তারা জিততে চায় আজও। আরেকটি ‘বাংলাওয়াশ’-এর চিন্তা আপাতত মাথায় না এনে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সিরিজ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে চায় মুশফিকুর রহিমের দল। শুধু মুখের কথায় নয়, ইচ্ছাটা তাদের কাজেকর্মেও স্পষ্ট। নইলে ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনেও এক রাজ্জাক ছাড়া সবাই কেন হাজির হবেন মাঠে! শরীরে একটু আড়ষ্ট ভাব আছে। রাজ্জাক মাঠে না গিয়ে বিশ্রামে ছিলেন সে জন্যই।ট্রেনার ডেভিড ডয়ার নিত্যনতুন সব ট্রেনিং করান। কাল যেমন শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমের সামনে রশি দিয়ে নেটের মতো বানিয়ে দুই দিকে ভাগ করে দিলেন খেলোয়াড়দের। একটা ফুটবলকে কখনো পায়ে, কখনো হেডে এপাশ থেকে ওপাশে নেওয়ার খেলা। বলতে পারেন অনেকটা হাত না লাগিয়ে ভলিবল খেলার মতো ব্যাপার। এটা করার পর পায়ের গোলপোস্টে দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এক ফুটবল ম্যাচ খেললেন মুশফিক-মাশরাফিরা। পুরো ম্যাচে একমাত্র গোলটি করলেন মাহমুদউল্লাহ। তীব্র শটে।ফিটনেস ট্রেনিং থেকে শুরু করে নেট প্র্যাকটিস, কেউ কেউ এসবের আগে-পরেও অনেক সিরিয়াস। নাসির হোসেন নেট থেকে উঠে এসে সেন্টার উইকেটে ছক্কা মারার অনুশীলন করলেন লম্বা সময় নিয়ে। এ কাজটা যিনি নিয়মিতই করেন, সেই তামিম ইকবাল অবশ্য কাল দলের সঙ্গে খুব একটা অনুশীলন করলেন না। তবে অন্যরা অনুশীলন শুরু করার আগে তিনি ব্যাট হাতে দীর্ঘ সময় কাটালেন নেটে। হয়তো ব্যাটিংয়ে মনোসংযোগ বাড়াতেই সবার কাছ থেকে একটু দূরে থাকলেন তামিম। সন্দেহ নেই প্রথম ওয়ানডের ব্যর্থতা কাটাতেই নাসির-তামিমের এই বাড়তি উদ্যোগ।পরশু ম্যাচ জিতলেও উইকেটের একটা বিশেষত্বে চোখ আটকে গেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় বাংলাদেশি পেসাররা কিছু বাউন্স পাচ্ছিলেন।দ্বিতীয় ওয়ানডের দল নির্বাচনের আগে খুব সামান্য করে হলেও ব্যাপারটা চিন্তায় ঢুকেছে টিম ম্যানেজমেন্টের। ওপেনার এনামুল হক (বিজয়) যেহেতু রানে নেই, তাঁকে বসিয়ে কি জিয়াউর রহমানকে খেলানো যায়? জিয়া এলে পেস বোলিংয়ের সঙ্গে তাঁর ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিংটাও যোগ হয় দলে। অথবা এমনও হতে পারে, এনামুলের জায়গায় সুযোগ দেওয়া হলো ব্যাটসম্যান শামসুর রহমানকে। আবার রেখে দেওয়া হতে পারে আগের ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশনটাই। কাল অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর দেওয়া আভাস অবশ্য সে রকমই, ‘কম্বিনেশনে পরিবর্তন আনার কোনো চিন্তাভাবনা এখন পর্যন্ত নেই। যে কম্বিনেশন নিয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছি, সেই কম্বিনেশন নিয়েই খেলব।’ তবে দিবা-রাত্রির ম্যাচ যেহেতু, চূড়ান্ত একাদশ নির্বাচনের আগে কন্ডিশন বুঝতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।বৃষ্টির আশীর্বাদে প্রথম ওয়ানডেতে ২৬৫ রান করেও জিতে গেছে বাংলাদেশ দল। মাহমুদউল্লাহর মতে, ২৭৫-এর নিচে রান এই উইকেটে একটু কমই নিরাপদ। তবে ম্যাচ জয়ের প্রধানতম শর্ত তাঁর চোখে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলা, ‘আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলছি বলে ওরা তাদের সেরাটা দিতে পারছে না। আমরা আত্মবিশ্বাসী। চেষ্টা করে যাব নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে।’বাংলাদেশ চায় আজই সিরিজ জিততে, নিউজিল্যান্ড চায় সমতা। আর সেই সমতার জন্য মরণ কামড় দিতে প্রস্তুত তারাও। হোটেলে ঘুরে আর কফি খেয়ে টেলর-ম্যাককালামদের কালকের দিনটা ওপরে ওপরে যতই নির্ভার কাটুক না কেন, সিরিজে ফেরার প্রতিজ্ঞা টের পাওয়া যায় তরুণ জেমস নিশামের কথায়, ‘প্রথম ম্যাচটা হেরেছি বলে আমরা ভড়কে যাইনি। এমন নয় যে আমরা খোলসের ভেতর ঢুকে পড়ব। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জেতার জন্যই মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড দল।’বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও তাহলে এখন বারুদ পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে!নর্দে, নর্দে, নর্দে!ঢাকার ফুটবলে এখন যেন একটাই আওয়াজ।হবে নাই-বা কেন! হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড যে আলো ছড়িয়েই চলেছেন। গত মৌসুমে শেখ রাসেলকে ট্রেবল জিতিয়েছেন। এবার তো শেখ জামালের জার্সি গায়ে আরও উজ্জ্বল। কাল নর্দে-ঝলকে শেখ জামাল উঠে গেল ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে।মোহামেডানের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-১ ব্যবধানের সহজ জয়ে নর্দের গোল দুটি। তিনিই গড়ে দিলেন ম্যাচের পার্থক্য। মোহামেডান শুরু থেকেই বলে আসছিল, তাদের বিদেশিদের মান অন্য বড় দলের চেয়ে খারাপ। কালও সেটিই দেখা গেল। গ্রুপের দুই ম্যাচে তিনটি গোলের পর কাল দুটি মিলিয়ে নর্দে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা।এমনিতেই কাগজে-কলমে শেখ জামাল এবারের মৌসুমের সেরা দল। মাঠেও তারা সেটি প্রমাণ করেছে কাল। বিশেষ করে নর্দে বল পেলেই রক্ষণ আতঙ্কে ভুগেছে।অবশ্য এটাও সত্যি, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের পাশাপাশি মোহামেডান রক্ষণ গোল পেতে ‘সাহায্য’ করেছে নর্দেকে।৩৪ মিনিটে নর্দের প্রথম গোলটার সময় মোহামেডানের দুই ডিফেন্ডার বক্সে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাঁদের মাঝখান দিয়ে ঢুকেছেন নর্দে। তপু বাঁ দিক দিয়ে বল নিয়ে বেরোনার সুযোগ দেওয়ায় গোলের জন্য মরিয়া নর্দে বক্সের ওপরে চকিতে বেরিয়ে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করলেন মোহামেডান গোলরক্ষক মামুন খানকে (১-০)।৫৫ মিনিটে মামুনুলের কাছ থেকে পাওয়া থ্রু ধরে বক্সের বাইরে থেকে তীব্র শটে নর্দের দ্বিতীয় গোল (২-০)। এই গোলের সময়ও মোহামেডান রক্ষণ গোললাইন নিশ্ছিদ্র রাখতে পারেনি। চতুর নর্দে সেই সুযোগই নিয়েছেন।দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া মানে ম্যাচ অনেকটাই শেখ জামালের হাতের মুঠোয়। তার পরও মোহামেডান জ্বলে ওঠার চেষ্টা করতেই ৮৩ মিনিটে খেল তৃতীয় গোল। এটি অধিনায়ক মামুনুলের প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দারুণ এক গড়ানো শটে।মোহামেডানের প্রধান কোচ অসুস্থ সাইফুল বারী বাসায়, সহকারী কোচ জুয়েল রানা সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘বিদেশিরাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’ তবে মোহামেডানের সান্ত্বনাসূচক একমাত্র গোলটি কিন্তু বিদেশির পা থেকেই এল। যার ওপর সবচেয়ে বেশি আশা ছিল, সেই মিসরীয় স্ট্রাইকার মোস্তফাকে সে অর্থে কোনো বলই বাড়াতে পারেনি মোহামেডানের মাঝমাঠ। তার পরও তৃতীয় গোল খেয়ে জাহিদের বদলি হিসেবে নেমেই ব্যবধান কমান নাইজেরিয়ান চার্লস (৩-১)। মিলিত আক্রমণ থেকে ৮৪ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত শটে আসে মোহামেডানের এই গোল।জাহিদ-এমিলি কিছুই করতে পারলেন না। জাহিদ আগের দুই ম্যাচে ভালো খেললেও কাল অনুজ্জ্বল। মোহামেডানের সবচেয়ে বড় সমস্যা, এদিন নিচ থেকে খেলা তৈরি করতে পারেনি। তাই লম্বা বল বেশি খেলছিল। সহজেই তা প্রতিপক্ষের রক্ষণদেয়ালে বাধা পেয়ে ফিরে আসে।প্রায় ভরে যাওয়া মোহামেডান গ্যালারি প্রিয় দলের খেলায় হতাশ, তবে যোগ্যতর দল হিসেবেই জিতেছে জামাল। জয়-পরাজয় একপাশে রেখে হাজার দশেক দর্শক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বেশ জমাট একটা ম্যাচই উপভোগ করল।গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, শেখ জামালের জয়ের নায়ক নর্দেকে ৬৪ মিনিটে গুরুতর ফাউল করেন মোহামেডান মিডফিল্ডার সিসান। হাঁটুতে চোট নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই নর্দেকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। সেমিফাইনালে নর্দে খেলতে পারবেন কি না সংশয়।নর্দের ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত ছিলেন জামাল কোচ যোসেফ আপুসি। রেফারি তৈয়ব হাসান তাঁকে ডাগ-আউট থেকে মাঠের বাইরে পাঠান। সংবাদ সম্মেলনে এসে যোসেফ নিজের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে সিসানকে হলুদ কার্ডের বদলে লাল কার্ড না দেখানোয় ক্ষুব্ধ আপুসি।ম্যাচ জয়ের আনন্দে শেখ জামালের সঙ্গী নর্দের চোটজনিত হতাশা, যে জন্য দায়ী প্রতিপক্ষের ফুটবলার।আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে গণহারে সহসম্পাদক নিয়োগ করা হচ্ছে। গত এক বছরে তিন দফায় ৪৬৭ জনকে সহসম্পাদক করা হয়েছে। আরও কয়েক শ জনকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলায় কর্মীদের চাঙা রাখতে মাঠের কর্মীদের সহসম্পাদক নিয়োগ করা হচ্ছে। তবে এভাবে ‘খেয়াল-খুশিমতো’ সহসম্পাদক নিয়োগ করায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে বলে দলের অভ্যন্তরে সমালোচনাও হচ্ছে।আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসংখ্যা ৭৩। গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক নামে একটি পদের কথা থাকলেও সুনির্দিষ্টভাবে সংখ্যার কথা উল্লেখ নেই। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিলের পরপর ৬৬ জনকে সহসম্পাদক মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর মাস তিনেক আগে ৮৩ জনকে এবং চলতি মাসে আরও ৩১৮ জনকে সহসম্পাদক করা হয়। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে প্রায় প্রতিদিন শত শত কর্মীর জীবনবৃত্তান্ত নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই নতুন করে আরও কয়েক শ জনকে সহসম্পাদক করা হবে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে সহসম্পাদক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি এক মাস ধরে নিয়মিত আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে বসছেন। সহসম্পাদক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডির কার্যালয় বেশ সরগরম। ওবায়দুল কাদের ও দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জমা পড়া কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত দেখে তালিকা করছেন। পরে সেই তালিকায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সই করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে।ঢালাও সহসম্পাদক নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা অনটেস্ট (পরীক্ষামূলক) নিয়োগ। নির্বাচনের পর যাচাই-বাছাই করে ১৫১ জনকে রাখব।’অবশ্য সহসম্পাদক হিসেবে যাঁদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে ‘পরীক্ষামূলক’ বলে কোনো কথা নেই। বরং সহসম্পাদক হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হচ্ছে।আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫(ক) ধারায় বলা আছে, ‘সভাপতি বিভাগীয় (সম্পাদকীয় বিভাগ) উপকমিটিসমূহ গঠন করিবেন।’ ২৫(চ) ধারায় বিভাগীয় উপকমিটির গঠন-প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ প্রত্যেক সম্পাদকীয় বিভাগের কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল ও সমন্বিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি সম্পাদকীয় বিভাগে একটি করিয়া উপকমিটি গঠন করিবে। উক্ত উপকমিটি একজন চেয়ারম্যান, একজন সম্পাদক, অনূর্ধ্ব পাঁচজন সহসম্পাদক...সমন্বয়ে গঠিত হইবে।’ গঠনতন্ত্র অনুসারে, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সম্পাদক সংশ্লিষ্ট উপকমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।গঠনতন্ত্রে সহসম্পাদকের সংখ্যা সুনির্দিষ্ট না থাকলেও ১৯টি সম্পাদকীয় বিভাগের কথা উল্লেখ আছে। আর প্রতিটি সম্পাদকীয় বিভাগে অনূর্ধ্ব পাঁচজন সহসম্পাদক নেওয়ার কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। সে হিসাবে ১৯টি সম্পাদকীয় বিভাগের প্রতিটিতে পাঁচজন করে নেওয়া হলেও সহসম্পাদকের সংখ্যা ৯৫ জনের বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এরই মধ্যে ৪৬৭ জন সহসম্পাদক নেওয়া হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে, ৭৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা শেষ পর্যন্ত কত হবে?২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সহসম্পাদক পদ সংযোজন করা হয়। পরবর্তীকালে ৯৫ জন সহসম্পাদক নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তখনকার সহসম্পাদকদের নিয়ে দলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে নিজেকে কেন্দ্রীয় নেতা বলে দাবি করতেন। সভা-সমাবেশে সহসম্পাদকদের প্রধান অতিথি, জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের বিশেষ অতিথি করার কথা বলতেন তাঁরা। অথচ আওয়ামী লীগের তখনকার অনেক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিন-চারবারের সাংসদ, আবার অনেকে বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই জেলা নেতা ছিলেন। তাঁরা তখন সহসম্পাদকদের উৎপাতের কথা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে জানান। এরপর ওই কমিটির সহসম্পাদকদের নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। তারপর ২০০৯ সালের ২৪ জুলাইয়ের কাউন্সিলের পর কোনো সহসম্পাদক নিয়োগ করা হয়নি।আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ে কথা বলে জানা যায়, বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলায় কর্মীদের মাঠে রাখতে গঠনতন্ত্রে থাকা সহসম্পাদক পদ কাজে লাগানো হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য প্রথম আলোকে জানান, এখন অত্যন্ত সংকটপূর্ণ সময়। এই সময়ে কর্মীদের মাঠে নামাতেই সহসম্পাদক নিয়োগ করা হচ্ছে। |
এবার একটিও রেকর্ড গড়তে পারেনি আরিফুল ইসলাম। এ নিয়ে একটু আক্ষেপই ছিল। তবে অন্য রকম একটা ‘রেকর্ড’ গড়েই এবারের বয়সভিত্তিক সাঁতার শেষ করেছে বিকেএসপির কিশোর। ১৩টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সব কটিতেই জিতেছে সোনা! জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের ইতিহাসে এই প্রথম এমন কৃতিত্ব দেখল মিরপুর সাঁতার কমপ্লেক্স। এর আগে গত বছর বয়সভিত্তিক সাঁতারে নাজমা খাতুন ১১টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সব কটিতেই রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছিল।এমন কীর্তির পরও আরিফুলের আক্ষেপ, ‘জেএসসি পরীক্ষার কারণে ভালোভাবে অনুশীলন করতে পারিনি। তাই রেকর্ড হলো না একটিতেও। আশা করি, আগামী বছর রেকর্ড গড়ে সোনা জিতব।’হ্যান্ডটাইমিংয়ে হলেও রেকর্ডের ছড়াছড়ি ছিল গত আসরে। হয়েছিল ৪৩টি নতুন রেকর্ড। কিন্তু এবার হয়েছে মাত্র ১১টি! আনসারের সাঁতারুদের পারফরম্যান্সের অবনতি এবং অনুশীলনের অভাবেই এমনটি হয়েছে বলে জানালেন ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন জেলার কোচরা।আরিফুলের মতো দাপট দেখিয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিও। ১০০টি ইভেন্টের মধ্যে ৫৮টি সোনা, ৪৪টি রুপা ও ২৯টি ব্রোঞ্জ জিতে ধরে রেখেছে শিরোপা। রানার্সআপ আনসার জিতেছে ১৫টি সোনা, ১৯টি রুপা ও ১৫টি ব্রোঞ্জ। ছেলেদের বিভাগে সেরা সাঁতারু এই আরিফুল। মেয়েদের বিভাগে সেরা মরিয়ম খাতুন। বিকেএসপির জাহিদুল ইসলাম ও টিটু মিয়া ১১টি করে সোনা জিতেছে। লালন শাহ সুইমিং ক্লাবের নয়ন আলী ও মেহেরপুর সুইমিং ক্লাবের রাশেদা খাতুন জিতেছে ৬টি করে সোনা।সুশৃঙ্খল দলের পুরস্কার জিতেছে মুন্সিগঞ্জ মনজুর স্মৃতি সুইমিং ক্লাব। বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে প্রতিবন্ধী সাঁতারু খুশি খাতুন। আগামী নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় স্পেশাল অলিম্পিকের এশিয়া প্যাসিফিক গেমসে অংশ নেবে পাবনার এই কিশোরী। কাল আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনাজয়ী সাঁতারু মাহফিজুর রহমান (সাগর), সোনিয়া আক্তার (টুম্পা), পাপিয়া আক্তার ও রোমানা আক্তারের হাতে। বার্সেলোনায় বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে নিজের ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং করায় বাড়তি প্রণোদনা পুরস্কার পেয়েছেন মাহফিজুর।১০ বছর পর গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিতরা গতকাল রাতে নগরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান। তাঁরা নতুন কমিটি বাতিলের দাবি জানান।জানা গেছে, গতকাল কেন্দ্র থেকে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে ইমরান উদ্দিন হিমুকে সভাপতি ও নুরুল আজম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।খবর পেয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা গতকাল রাত আটটার দিকে নগরের জিইসি মোড়, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, প্রবর্তক মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা এ কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।এ সময় নগরের ২ নম্বর গেট এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ৫০টির বেশি গাড়ি।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, টানা তিন দিন হরতালের পর নগরের ব্যস্ততম এলাকা জিইসি মোড়ের বিভিন্ন বিপণিবিতানে গতকাল ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। এ সময় হঠাৎ এমন তাণ্ডবে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। অনেক বিপণিকন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।পদবঞ্চিত নগরের হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ আচার্য অভিযোগ করেন, ‘টাকার বিনিময়ে ছিনতাইকারী, ঝাপটাবাজদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। যে যত বেশি টাকা দিয়েছে, তাকে তত ভালো পদ দেওয়া হয়েছে।’ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, সাংগঠনিক নানা জটিলতায় এত বছর কমিটি করা যায়নি। দীর্ঘ ১০ বছর পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হলো। এক বছরের জন্য এই কমিটি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে।নাজমুল বলেন, কমিটিতে নয়জন সহসভাপতি, পাঁচজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছয়জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন প্রচার ও একজনকে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঁচ সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এঁরা হলেন উপপ্রচার সম্পাদক আজিজ রহমান, উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন, সদস্য জাহেদ বিন, দেবাশীষ আচার্য ও মোরশেদুল আলম রাসেল।২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এম আর আজিমকে সভাপতি ও সালাউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে সর্বশেষ ছাত্রলীগের নগর কমিটি হয়েছিল। নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কমিটিও ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নাজমুল আলম জানান।খেলা শেষে এক ড্রেসিংরুমের সামনে উৎসবের রঙিন ফোয়ারা। অন্য ড্রেসিংরুমের সামনে পড়ে থাকে বিষণ্ন বিকেল। যেকোনো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের পর এটি সব মাঠেরই পরিচিত দৃশ্য। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল সেই দৃশ্যে বাড়তি একটা ফ্রেম যোগ করলেন ফরহাদ রেজা।খেলা শেষে বিজয়ী-বিজিত সব অধিনায়কের প্রতিক্রিয়া জানানোটা রীতি। জিতলেই চ্যাম্পিয়ন—এমন ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর কেমন লাগছে পরাজিত প্রাইম দোলেশ্বর অধিনায়কের, সেটা জানাও জরুরি। কিন্তু ড্রেসিংরুম থেকে বের হলেন না ফরহাদ রেজা। একজন এসে বললেন, অধিনায়কের মন ভালো নেই। কথা বলবেন না।মাঠ ছাড়ার আগে ড্রেসিংরুমের করিডরে অবশ্য কথা বললেন ফরহাদ। বিষণ্ন দোলেশ্বর অধিনায়ক, ‘আসলেই মনটা খারাপ। যে উইকেট ছিল, ব্যাটসম্যানরা একটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে হয়তো হয়ে যেত। ৩২০ রানও টপকানো সম্ভব এই উইকেটে।’ক্রিকেটের শেষ দৃশ্যে ‘যদি’, ‘কিন্তু’র হিসাব থাকেই। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একটা জায়গায় এখন বোধ হয় সব ‘যদি’, ‘কিন্তু’ই অচল। সাকিব কোন দলে, তামিম কোন দলে, মুশফিক কোন দলে—সেসব কোনো ব্যাপার নয়। কোনো দলের পেছনের লোকটার নাম লুৎফর রহমান থাকলেই হয়। সেই দলই চ্যাম্পিয়ন! ২০০৯-১০ মৌসুমে মোহামেডান, ২০১১-১২-তে ভিক্টোরিয়া এবং ২০১২-১৩-তে গাজী ট্যাংকের পেছনে থেকে সেটাই তো প্রমাণ করলেন তিনি!উৎসবের কোলাহলে গাজী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বলছিলেন, ‘তাঁকে (লুৎফর রহমান) খুব কাছ থেকে দেখলাম এ বছর। উনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে খুব আন্তরিক। যতটা পেশাদারি থাকা উচিত, তিনি ততটাই থাকেন।’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যেমন কাল ড্রেসিংরুমে পুরো দলকে ৫ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দিলেন লুৎফর রহমান। আলাদা করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ এউইন মরগানকে দিলেন ৫০০ ডলার, মাহমুদউল্লাহ ও নাঈম জুনিয়র পেলেন ২৫ হাজার টাকা করে। বোনাস পেয়ে স্বভাবতই খুশি মরগান, তবে তার চেয়েও বেশি খুশি অবশেষে নিজের ব্যাটে রান দেখে, ‘প্রথম চার ম্যাচে রান পাইনি। এ ম্যাচে আমি ইতিবাচক থেকে খেলতে চেয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান করতে পারাটা সব সময়ই আনন্দের।’মাঠের বাইরের প্রেরণা-প্রণোদনার কোনো দাম থাকে না মাঠে নেমে সেটিকে পারফরম্যান্সে অনুবাদ করতে না পারলে। গাজী ট্যাংকের ক্রিকেটাররা তা পেরেছেন বলে তাঁরাও অধিনায়কের প্রশংসায় ভিজেছেন, ‘সকালে ব্যাটিংটা খুব সহজ ছিল না, তার পরও আমাদের শুরুটা ভালো হয়েছে। এ ছাড়া শুরুতে রুবেল খুব ভালো বোলিং করেছে। ভালো বল করেছে নাঈমও। ওদের মুমিনুল খুব ভালো ব্যাটিং করলেও আমরা নিয়মিত উইকেট নিতে পেরেছি।’ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিক দিয়েও লিগটা খারাপ যায়নি মাহমুদউল্লাহর। ১০ ম্যাচে ৪৬৩ রান, একটা সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি চারটা। বড় ইনিংস আরও বেশি খেলতে না পারার আফসোস থাকলেও নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টই মনে হলো গাজী অধিনায়ককে। এই জায়গায় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিল আছে প্রাইম দোলেশ্বর অধিনায়ক ফরহাদ রেজার। ২৯ উইকেট নিয়ে গাজীর আরাফাত সানির সঙ্গে তিনিও এবারের লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ব্যাট হাতে রানটা (১৭৯) খুব বেশি না হলেও কালকের ৭৯ মুমিনুলের ৮৬-র পর দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বিষণ্ন বিকেলে এই পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পরও যথেষ্ট বিনয়ী ফরহাদ, ‘এ নিয়ে তিনবার সর্বোচ্চ উইকেট পেলাম। ভালো লাগছে..., তবে আমার এ রকম টার্গেট ছিল না যে সর্বোচ্চ উইকেট পেতে হবে। দলের সবাই ভালো খেললে, তবেই অধিনায়কের কৃতিত্ব।’শিরোপার সুবাস পেতে পেতে সেটা হারিয়ে গেলে এমনই হয়, মন খারাপ করা বিকেলে নিজের ভালোটাও ধূসর হয়ে যায়।বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সকাল নয়টার দিকে মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক।গোপালগঞ্জের নাম বদলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে বলে বাদী জানিয়েছেন।২৯ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ডাক দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। তবে ওই দিন পুলিশি বাধার মুখে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যদের ধমক দেন। বাড়ি গোপালগঞ্জ কি না, জানতে চান।সেখানে উপস্থিত পুলিশের কিছু নারী সদস্য নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকলে তাঁদের উদ্দেশে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘এই যে মহিলা, মুখটা এখন বন্ধ কেন? এতক্ষণ কী বলছিলেন? মুখ বন্ধ কেন এখন? দেশ কোথায়, গোপালি? গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ আর থাকবে না। আপনারা যা করছেন, আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে।’ |
বহিরাগত ব্যক্তিরা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. নুর মোহাম্মদকে (২২) পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বেলা দুইটার দিকে ক্যাম্পাসে ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পর অন্য ছাত্ররা নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে প্রশাসনিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেন। পিটুনিতে নুর মোহাম্মদ চোখ, মাথা, মুখ ও পিঠে আঘাত পেয়েছেন বলে প্রথম আলোকে জানান।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, গতকাল বেলা দুইটার দিকে শহর থেকে ছাত্রলীগসমর্থিত ১৪-১৫ জনের একদল যুবক ক্যাম্পাসে মহড়া দেন। একপর্যায়ে ওই যুবকেরা ক্যাম্পাসের ক্যানটিনে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। এ সময় পাশের একটি চেয়ারে বসে নুর মোহাম্মদ ধূমপান করছিলেন। ধূমপান শেষে তিনি চলে যাওয়ার সময় ওই যুবকেরা তাঁদের সামনে ধূমপানের কারণ জানতে চেয়ে উত্তর দেওয়ার আগেই তাঁকে মারধর শুরু করেন।প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর প্রথম আলোকে বলেন, শহর থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে এসে তাঁর কাছে ছাত্রদলের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। এরপর তাঁরাই নাকি বিবিএর এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় বিদেশি কূটনীতিকেরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চলমান সংকট কাটাতে তাঁরা গঠনমূলক সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন। তাঁদের ধারণা, সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি।গতকাল বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ের পর কূটনীতিকেরা এ অভিমত দিয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি তাঁর দপ্তরে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন।বেলা সোয়া তিনটায় শুরু হয়ে ব্রিফিংটি ছিল প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী। শুরুতে ১৮ দলের ডাকা হরতালে যেসব সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। এরপর দীপু মনি একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন উপদেষ্টা এইচ টি ইমামও বক্তব্য দেন।গতকালের ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কূটনীতিক মনে করেন, নতুন কোনো ইতিবাচক বার্তা প্রত্যাশা করেছিলেন তাঁরা। তবে ব্রিফিংয়ে যা তুলে ধরা হয়েছে, তা নতুন কিছু নয়। এসব বিষয় ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে এসেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতার পর বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন। কূটনীতিকদের মধ্যে আর কেউ কোনো প্রশ্নও করেননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতার পর হিদার ক্রুডেন কথা বলেন। এরপর কূটনীতিকদের কেউ কোনো প্রশ্ন না করলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন দীপু মনি। কূটনীতিকেরা নানা বিষয়ে প্রশ্ন করবেন—এমন ধারণা থেকে উত্তর তৈরি করা হয়েছিল।জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় হিদার ক্রুডেন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনা যে আমাদের গভীর উদ্বিগ্ন করে তুলেছে, সেটি উল্লেখ করেছি। এ ছাড়া রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়াটা যে আমাদের হতাশ করেছে, তা-ও বলা হয়েছে। কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে জানিয়েছি, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে আমরা সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চাই। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতেই এটি প্রয়োজন। তবে সমাধান কোন পথে, সে ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করতে চাই না।’ব্রিফিং শেষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা চাই সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হোক। আর সমস্যা সমাধানের সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি বলেই আমার বিশ্বাস।’কূটনীতিকদের কাছ থেকে ব্রিফিংয়ে কী প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে—জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, ‘তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী সংলাপে বসবেন। তাঁদের প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। এতে করে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাঁদের জানিয়েছি, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাবে বিরোধীদলীয় নেত্রী ইতিবাচক সাড়া দেবেন। এর মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে।’কূটনীতিকেরা ব্রিফিংয়ে কোনো বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, সহিংসতার ব্যাপারে তাঁরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে তাঁরা সহিংসতা চান না। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা সমস্যার সমাধান চান।পর্দার অন্তরালে কূটনীতিকদের তৎপরতা সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দীপু মনি বলেন, ‘পর্দার অন্তরালে কী ঘটছে সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তাঁরা যদি প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেন, তবেই আমি মন্তব্য করতে পারি। তবে আমরা আশা করব, কূটনীতিকেরা শিষ্টাচার মেনেই তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করবেন। এটিই প্রত্যাশিত।’তাঁরা কি কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলছেন—এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বেশির ভাগই তা মেনে চলছেন। কূটনীতিকেরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ তাঁদের নিজ নিজ দেশে প্রতিবেদন পাঠাতে হয়। বাংলাদেশ নিয়ে কূটনীৈতিক মহলের কোনো উদ্বেগ থাকলে নিয়মানুযায়ী তা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। সাধারণত এ বিষয় নিয়ে বাইরে আলোচনা করা উচিত নয়। আমি আশা করব তাঁরা এ রীতি মেনে চলবেন।’ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনার দিল্লি সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, ‘ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি এ সফরে গিয়েছেন। কারণ, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। কাজেই তিনি ভারতে গিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতেই পারেন। তবে ড্যান মজীনা আমাকে জানিয়েছেন, তাঁর চীন সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, সেটি সঠিক নয়।’মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেন, সংলাপ, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের বিস্তারিত জানিয়েছেন। দুই পক্ষ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষও সংলাপের মাধ্যমে সমাধান দেখতে চায়। তিনি বলেন, ‘আলোচনার এখনো সুযোগ রয়েছে। আমি আশা করি, আলোচনার সুযোগ কাজে লাগানো হবে।’গতকালের ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, চীন, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতও এ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।ক্রিকেটটা খেলতেন মনপ্রাণ ঢেলে। স্টিভ ওয়াহ মাঠে কখনোই ছেড়ে কথা বলতেন না প্রতিপক্ষকে। মাঠে হরহামেশাই কথার হুলে প্রতিপক্ষকে বিদ্ধ করা সেই স্টিভ ওয়াহও বলছেন কাজটা ঠিক করেননি ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলীয় ওপেনার ইংলিশ ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রটকে আক্রমণ করতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলেই মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক। শুধু তা-ই নয়, ওয়ার্নারের মন্তব্যকে একেবারেই ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলছেন তিনি।অবসাদজনিত অসুস্থতা নিয়ে ট্রট গত সপ্তাহেই ফিরে গেছেন ইংল্যান্ডে। এর আগে ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে কষ্টেসৃষ্টে করেছেন ১০ ও ৯ রান। ওই ম্যাচ চলাকালেই ওয়ার্নার ট্রটকে বলেছিলেন ‘দুর্বল’ ও ‘নড়বড়ে’। ওয়ার্নারকে অবশ্য সমালোচনার তোপ সামলাতে হচ্ছে তখন থেকেই। সেই দলে কাল যোগ দিলেন সাবেক অধিনায়কও।সিডনি ক্রিকেট ও স্পোর্টস গ্রাউন্ড ট্রাস্ট ওয়েবসাইটে ওয়াহ তোপ দেগেছেন ওয়ার্নারের দিকে, ‘আমি মনে করি ডেভিড ওয়ার্নারের মন্তব্য পুরোপুরিই অগ্রহণযোগ্য ছিল। প্রতিপক্ষের কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় আমি বিশ্বাসী নই। সে সর্বজনীন কোনো মন্তব্য করতে পারত। কিন্তু এটাকে ব্যক্তিপর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটা সীমা লঙ্ঘন। খেলোয়াড়দের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত। তাই আমি ডেভের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নই।’তবে ওয়াহ মনে করছেন, ইংলিশ খেলোয়াড়েরা ভয় পাচ্ছে এটা বুঝতে পেরেই কথাটা বলেছেন ওয়ার্নার, ‘সে সম্ভবত ইংলিশদের মধ্যে ভয় দেখছিল। দুর্ভাগ্য যে জোনাথন ট্রটের জন্য এটা ছিল ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি শুধু তাঁর মঙ্গল কামনাই করতে পারেন। তাই আমি আশা করছি, ব্যাপারটা ওই টেস্টেই শেষ হয়ে গেছে।’এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া দলকে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন স্টিভ ওয়াহ। বলেছেন অস্ট্রেলীয়দের আরও বিচক্ষণ হওয়া উচিত, ‘তারা ভালো খেলছে, তাই এখন তাদের মাঠে অত কথা বলার কোনো দরকার নেই।’আগামী বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে শুরু হচ্ছে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট। এএফপি।২০১৩: বিদায়ী বছর ২০১৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ঘটনা ঘটেছে। কোনো ঘটনা গণমাধ্যমের নজর কেড়েছে, কোনোটি কাড়েনি। আবার কিছু সংবাদ আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম তেমন ১০টি খবর বাছাই করেছেসুপার সাইক্লোন হাইয়াননভেম্বরের শুরুর দিকে ফিলিপাইনে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন হাইয়ান। ঘণ্টায় ১৭০ মাইলের বেশি বেগের এই সামুদ্রিক ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকূলীয় শহর তাকলোবান। নিহত হয় পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। ১৯৯১ সালের পর ফিলিপাইনে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় সাইক্লোন।ভারতে ধর্ষণের হিড়িক২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মেডিকেল-ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে ভারত, যার প্রভাব ছিল ২০১৩ সালজুড়ে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হয়। সরকার ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন কঠোরতর করে। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা বন্ধ হয়নি। সেপ্টেম্বরে মুম্বাইয়ে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী আলোকচিত্রী।চীনের সমুদ্রসীমায় উত্তেজনাদক্ষিণ চীন সাগরে বছরজুড়েই চীনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার তোড়জোড় ছিল। এটি আঞ্চলিক সংকট প্রকট করেছে। বছরের শেষের দিকে চীনের একতরফা ‘বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল’ ঘোষণা সেই সংকট আরও ঘণীভূত করে।রানা প্লাজা ধস২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধসে ১১ শতাধিক পোশাকশ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে শ্রমিক-নিরাপত্তার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক আলোচিত হয়।আফ্রিকায় ব্যাপক সন্ত্রাসফ্রান্স জানুয়ারি মাসে মালিতে অভিযান চালিয়ে ইসলামপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঠেকায়। কিন্তু বছরজুড়েই আফ্রিকায় ইসলামী চরমপন্থীদের উত্থান দেখা যায়। জঙ্গিরা আলজেরিয়ায় তেলখনিতে জিম্মি করে ৩৯ জন বিদেশিকে হত্যা করে, নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম বেশ কয়েকটি বড় হামলা চালায় এবং আল-শাবাব কেনিয়ার একটি শপিং মলে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৬৮ জনকে হত্যা করে।নতুন পোপ১৩ মার্চ নতুন পোপ নির্বাচিত হন আর্জেন্টিনার হোর্হে বের্গোগলিও। পোপ ফ্রান্সিস নাম ধারণ করেন তিনি। এর আগে ৬০০ বছরের মধ্যে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে পোপের পদ ছেড়ে দেন ষোড়শ বেনেডিক্ট।মিসরে বিপ্লব শেষ?হোসনি মোবারক অধ্যায় শেষে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মুরসি। জুলাইয়ে সেনাবাহিনী তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে।ইরানের নতুন অধ্যায়পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পরাশক্তিদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সমঝোতায় পৌঁছেছে ইরান। দৃশ্যত তুলনামূলক উদারপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ক্ষমতায় আসায়ই তা সম্ভব হয়েছে। এ বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রুহানি, যা ছিল প্রায় তিন দশকের মধ্যে এই দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের প্রথম কথোপকথন।সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধপ্রায় আড়াই বছর ধরে চলা সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হয় ২১ আগস্ট। দামেস্কে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে মানুষ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীরা এ জন্য পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উদ্যোগের জেরে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে রাজি হয় সিরিয়া সরকার। সম্মত হয় আগামী জানুয়ারিতে জেনেভায় অনুষ্ঠেয় শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতেও।বিশ্ব কাঁপান স্নোডেনবিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারির খবর ফাঁস করে ঝড় তোলেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক চুক্তিভিত্তিক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। নজরদারির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো মিত্ররাও ছাড় পায়নি। দেশ ত্যাগ করে এসব তথ্য ফাঁস করেন স্নোডেন। সাময়িক আশ্রয় পেয়ে এখন তিনি রাশিয়ায় আছেন। |
‘সাগর নামের এক বড় ভাইয়ের মোবাইলে দৃশ্যগুলো দেখি। পরে নিজের মোবাইলে সেগুলো নিই। পরে...।’ পরনে নীল শার্ট ও কালো প্যান্ট। চোখে পানি। গতকাল রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে কথাগুলো বলছিল ১২ বছর বয়সী এক শিশু।সমাজবিজ্ঞানীর মতে, দোষ ওই শিশুটির নয়, দোষ পুরো সমাজব্যবস্থার। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।ঘটনার কথা স্বীকার করে গতকাল বিকেলে মহানগর হাকিম নুরে আলম ভূঁইয়ার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় ওই শিশুটি।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সমাজবিজ্ঞানী ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোষ ওই দুই শিশুর নয়। দোষ আমাদের সমাজব্যবস্থার। সমাজ যেভাবে অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ বলা কঠিন। একজন শিশুর হাতে কেন মোবাইল ফোন আসবে। আর তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার থাকলেও তার নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। অভিভাবককে সচেতন হতে হবে, তার ছেলেমেয়ে কোথায় যাচ্ছে; কার সঙ্গে মিশছে। তা ছাড়া ছেলেমেয়ের সঙ্গে অভিভাবকদের বন্ধুর মতো মিশে যৌনশিক্ষাসহ যাবতীয় আচরণ ছোটকাল থেকে শিক্ষা দিতে হবে। নইলে সমাজে শিশু-কিশোর অপরাধ বাড়তে থাকবে।’হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর হালিশহর এলাকায় মুরগির দোকানের কর্মচারী ১২ বছরের এক শিশু পার্শ্ববর্তী এলাকার সাত বছরের এক শিশুকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কন্যাশিশুটির বাবা বাদী হয়ে হালিশহর থানায় ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে শিশুটিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মোবাইল ফোনে দৃশ্য দেখেই ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে। কন্যাশিশুটি বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছে। তার বাবা সিএনজি অটোরিকশাচালক গতকাল বলেন, ‘আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দিছে। আমি এর বিচার চাই।’শিশুটি আদালত প্রাঙ্গণে বলে, ‘মোবাইলে দেখে আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি আর এসব করব না।’সংবাদকর্মীরা রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে পরিষদ।গতকাল বুধবার পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব সময় সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ও সাংবাদিকেরা হরতালের আওতামুক্ত। তার পরও ২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর এই পাঁঁচ দিনে অন্তত ১৯ জন সাংবাদিক, চারটি গণমাধ্যম ও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দুজন সাংবাদিকের বাসায় হামলা হয়েছে। এ ধরনের রাজনৈতিক আচরণ উদ্বেগজনক। এর ফলে আমরা সাংবাদিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভুলে গেলে চলবে না যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন ও বলিষ্ঠ গণমাধ্যমে ছাড়া পৃথিবীতে কোথাও গণতন্ত্র টেকসই হতে পারে না। বাংলাদেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলো এই লক্ষ্যে কাজ করছে। স্বাধীন ও বলিষ্ঠ গণমাধ্যম বাংলাদেশের একটি গৌরবময় অর্জন। অনেক ত্যাগ ও ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এই অর্জন এসেছে। বাংলাদেশের জনগণ এবং সাংবাদিকেরা এই অর্জনকে বিনষ্ট হতে দেবে না।সম্পাদক পরিষদের পক্ষে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ আনাম বিবৃতিতে সই করেন। এতে সংবাদকর্মী ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সংবাদকর্মী ও সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিষদ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।এমন স্পনসর হলে তো কথাই নেই। দলের জন্য খরচ করবে আবার মাঝেমধ্যে খেলোয়াড়দেরও এটা-সেটা উপহার দেবে অকৃপণভাবে! রিয়াল মাদ্রিদের স্পনসর অডি যেমন। জার্মান গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি রিয়াল মাদ্রিদের দুই মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও গ্যারেথ বেলকে সম্প্রতি উপহার দিয়েছে খুবই দামি দুটি গাড়ি। এই মুহূর্তে বাজারমূল্যে রোনালদোর গাড়িটির দাম প্রায় এক কোটি টাকা, বেলেরটি এক কোটি ২০ লাখ! বিশ্বের সবচেয়ে দামি দুই ফুটবলার। রিয়ালেও এই দুজনের বেতন সবচেয়ে বেশি। ইদানীং দুজনের ফর্মও যাচ্ছে দারুণ। এই সময় হঠাৎ করে এমন চমৎকার উপহার। রোনালদো-বেল হাওয়ায় উড়ছেন! ওয়েবসাইট।টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল এখানে বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত আইনজীবীদের সঙ্গে আওয়ামী মহিলা যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ইট ও জুতা ছোড়াছুড়ি হয়।সুপ্রিম কোর্টের বিধিমালা অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল-সমাবেশ করাই নিষেধ। ২০১২ সালে সর্বশেষ সংশোধিত সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) বিধিমালা, ১৯৭৩-এর বিবিধ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, আইনজীবী, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা যেকোনো ব্যক্তি আদালত প্রাঙ্গণে বা আদালত ভবনের কোনো অংশে মিছিলের আয়োজন বা অংশ নিতে বা স্লোগান দিতে পারবেন না, অথবা বিক্ষোভ প্রদর্শন বা সভা করতে পারবেন না। প্রায়ই এই বিধি ভঙ্গ করে আদালত চত্বরে সভা-সমাবেশ বা মিছিল করেন আইনজীবীরা, এমনকি আদালত ভবনের ভেতরেও উচ্চ স্বরে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। তবে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয়ে এমন মারধরের ঘটনা বিরল।গত রোববার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নৈরাজ্য শুরু হয়। মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়া বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ওই হামলায় দুই নারী আইনজীবী সিমকী ইমাম খান ও রেহানা পারভীনকে লাথি, কিল-ঘুষি মারা হয় এবং লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এ সময় আহত হন আরও বেশ কয়েকজন আইনজীবী। আর দর্শকের ভূমিকা পালন করেন কোর্ট প্রাঙ্গণের বাইরে থাকা পুলিশ সদস্যরা।এ প্রসঙ্গে প্রবীণ আইনবিদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই দিন ধরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যা ঘটেছে, তাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মান-মর্যাদা-সম্মান সব ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। একজন বিচারক বলেছেন, যা ঘটেছে তাতে সুপ্রিম কোর্টের জানাজা পড়া হয়ে গেছে। কতটা দুঃখ পেলে তিনি এ কথা বলতে পারেন?’মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিধিমালার উল্লেখ করা হলে রফিক-উল হক বলেন, ‘সারা দেশেই রুলস নেই, সুপ্রিম কোর্টের রুলসে থাকলে আর কী হবে?’সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসব ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট আইনবিদ ও আইনজীবীদের কয়েকটি সংগঠন। তদন্ত করে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিসহ আজ মঙ্গলবার সারা দেশের আদালতগুলোতে কর্মবিরতি কর্মসূচি ডেকেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আইনজীবীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধের জন্য সরকারের যথাযথ উদ্যোগের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।২০০৬ সালেও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ঘটনা ঘটে। তবে সেবারের নৈরাজ্যের সঙ্গে বহিরাগতরা সংশ্লিষ্ট ছিলেন না, আইনজীবীরাই আদালত ভবনে নির্বিচারে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন। বহিরাগতদের হাতে আইনজীবীদের প্রহূত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল।সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর বহিরাগতদের ন্যক্কারজনক হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী আইনজীবীদের এসব সংগঠন একে অন্যকে দোষারোপ করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আজ সারা দেশের আদালতগুলোতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। নারী আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আইনজীবী না হয়েও তাঁরা আইনজীবীদের মিছিলে অংশ নেন এবং বিক্ষোভ দেখান।রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বিবৃতি দিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। বিবৃতিতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এবং এসব হামলা ও নির্যাতন বন্ধে সরকারের যথাযথ উদ্যোগের দাবি জানানো হয়। |
খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ ও শুনানির দিনে কাল নির্বাচন কমিশনে ১৪টি আপত্তি জমা পড়েছে বিভিন্ন জেলা, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও ক্লাব থেকে। মূল আপত্তিটা বারিধারা ড্যাজলার্সের কাউন্সিলর ও বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর। বিসিবির নির্বাচনপ্রক্রিয়ার অনেক মৌলিক বিষয় নিয়েই গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।সাবের হোসেন চৌধুরীর প্রথম অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাজের এখতিয়ার নিয়ে। কাল সন্ধ্যায় শুনানি শেষে সাংবাদিকদের কাছে সেটির ব্যাখ্যা দিলেন তিনি, ‘আমি কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছি, অ্যাপিলেট ডিভিশনের যে রায়ের আলোকে নির্বাচন হবে, তাদের কাছে সেটার সার্টিফায়েড কপি আছে কি না। কারণ অ্যাপিলেট ডিভিশনের রায় হলে লিখিত সার্টিফায়েড কপি ছাড়া পরবর্তী কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় না। কিন্তু তাঁরা বললেন তাঁদের কাছে এখনো রায়ের কপি আসেনি।’ তাই সাবের হোসেনের দাবি, ‘রায়ের কপি না আসা পর্যন্ত নির্বাচনপ্রক্রিয়া বা তফসিল বাতিল করতে হবে। স্থগিত করতে হবে। রায় পাওয়ার পর সেটা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। মুখে মুখে তো নির্বাচন হতে পারে না।’নির্বাচনী বিধিমালা প্রণয়ন না করেই নির্বাচন কমিশন বিসিবির নির্বাচন পরিচালনায় নেমে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক বোর্ড সভাপতি। সাবের চৌধুরীর অভিযোগ বিসিবির দেওয়া খসড়া ভোটার তালিকা নিয়েও, ‘গঠনতন্ত্রের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনসংক্রান্ত সব কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। গঠনতন্ত্রের কোথাও এমন কিছুর উল্লেখ নেই যেটা নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত কোনো এখতিয়ার বিসিবিকে দেয়।’ বিসিবি সাধারণ পরিষদ গঠনের জন্য কাউন্সিলরের নাম চাইতে পারলেও বিসিবির চিঠিতে ‘নির্বাচন পরিচালনা’ করার কথাও উল্লেখ আছে বলে দাবি তাঁর, ‘বিসিবি সাধারণ পরিষদ গঠনের জন্য কাউন্সিলর মনোনয়ন করতে বিভিন্ন সংস্থাকে অবগত করতে পারে। কিন্তু বিসিবির চিঠিতে নাম চাওয়া হয়েছে সাধারণ পরিষদ গঠন এবং পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য। এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এমনকি তারা যে ছকে নাম চেয়েছে সেটারও কোনো বৈধতা নেই।’ বর্তমান খসড়া ভোটার তালিকা বাতিল করে তাই নির্বাচন কমিশনকে নতুন খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।এ ছাড়া তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের জন্য সময় খুবই কম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সাবের চৌধুরীর। তফসিলকে ‘মনগড়া শিডিউল’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘একটা শূন্য পদে নির্বাচনের জন্যও যেখানে ৪৫ দিন সময় দিতে হয়, সেখানে ২৭টি পদে নির্বাচনের জন্য কীভাবে মাত্র ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়?’এসবের সঙ্গে পুরোনো অভিযোগগুলোও তুলেছেন নতুন করে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভোটার তালিকা করার সময় দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্লাবগুলোর সর্বশেষ মৌসুমের স্ট্যান্ডিং ধরার কথা। সে অনুযায়ী ২০১২-১৩ মৌসুমের স্ট্যান্ডিং অনুযায়ী হওয়ার কথা কাউন্সিলর। অথচ এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়েছে ২০১১-১২ মৌসুমের স্ট্যান্ডিং! এ ছাড়া অনেক জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা নির্বাহী পরিষদের সভা ছাড়াই কাউন্সিলরের নাম পাঠিয়েছে, কোথাও বা পালন করা হয়নি সভার সিদ্ধান্ত, অনেক ভোটার সাধারণ পরিষদেরও সদস্য নন—সাবের চৌধুরীর অভিযোগের তালিকায় আছে এসবও।নিজের তোলা আপত্তিগুলোর জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে লিখিতভাবে চেয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনও আজকের মধ্যে জবাব দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে সাবের চৌধুরীকে। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমান সংবাদমাধ্যমের কাছেও বলেছেন, ‘আপত্তিগুলো পর্যালোচনার পর আগামীকাল (আজ) আমরা আদেশ দেব।’ তবে অ্যাপিলেট ডিভিশনের সার্টিফায়েড কপি না থাকার ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট, ‘অ্যাপিলেট ডিভিশনের সার্টিফায়েড কপি আমার কাছে থাকার দরকার নেই। কারণ হলো, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাকে বলেছে বিসিবির ২০১২ সালের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। সেই গঠনতন্ত্র আমার কাছে আছে। যদি অ্যাপিলেট ডিভিশনের কপির প্রয়োজন হয়, সেটা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বুঝবে। এটা আমার দায়িত্ব না। এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব না।’তফসিল অনুযায়ী আজ বেলা ৩টায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও সব আপত্তির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেটা সম্ভব নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার পরও আশাবাদী, ‘কাল (আজ) বেলা ৩টা পর্যন্ত সময় আছে। কিছু জিনিস পর্যালোচনা করতে হবে বলেই এই সময়টা আমরা রেখেছি।’স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন কখনো হাত ধরাধরি করে আসে? জেমস নিশামকে জিজ্ঞেস করুন, উত্তরটা পাবেন—হ্যাঁ!ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ওয়ানডেতে পেয়েছিলেন মাত্র ১ উইকেট। ব্যাট হাতে ছিল ১৮ রান। মাশুল ছিল দলে জায়গা হারানো। ঘরোয়া ক্রিকেট আর চ্যাম্পিয়নস লিগের পারফরম্যান্সে এই সিরিজেই ফিরলেন দলে। পরশু নিউজিল্যান্ড তিন স্পেশালিস্ট পেসার খেলানোর প্রথাগত পথে হাঁটলে নিশামকে বসে থাকতে হতো ড্রেসিংরুমেই। কিন্তু অভিজ্ঞ কাইল মিলসকে বসিয়ে খেলানো হলো বাড়তি অলরাউন্ডার। বল হাতে নিশামের পারফরম্যান্স বুঝতে দিল না মিলসের না থাকা। নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াম পেসে নিলেন ৪ উইকেট। কিন্তু ব্যাট হাতে আউট প্রথম বলেই। সেটাও কিনা লেগ স্টাম্পের বাইরের এক বলে, প্রতিপক্ষে একজনের হ্যাটট্রিকের তৃতীয় শিকার হয়ে!পরশুর হারের পর নিউজিল্যান্ড কাল অনুশীলন করেনি। হোটেলেই জিম-সুইমিং করে কাটিয়েছে সময়। নিশামকে পাওয়া গেল টিম হোটেলের লবিতেই। এক পাশে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন নাথান ম্যাককালাম ও গ্রান্ট এলিয়ট। ইতিউতি ঘোরাফেরা করছিলেন অ্যান্টন ডেভচিচ। আর পাশেই একটি চেয়ারে বসে আপন মনে মোবাইলে টেপাটেপি করছিলেন নিশাম।‘ব্যাডলাক’ বলে হাত বাড়িয়ে দিতেই মুখ তুলে তাকালেন। বেজার হলেন না খুশি, চেহারা দেখে বোঝা গেল না। তবে ‘ব্যাডলাক’ কথাটি বুঝি মনে ধরল, ‘ভাগ্য কিছুটা খারাপ ছিল। বলটি ছিল বাজে, লেগ স্টাম্পের বাইরে। ক্যাচটিও দারুণ নিল। তবে ক্রিকেটে এমন হয়েই থাকে, বাজে বলে অনেক সময় আউট হতে হয়। পুরো আবহটাই ছিল অন্য রকম, গ্যালারির গর্জনে কানে তালা লেগে যাচ্ছিল। বলটা ফ্লিক করতে চেয়েছিলাম, ঠিকমতো ব্যাটে লাগল না। সবকিছুই হয়ে গেল খুব দ্রুত।’এই তিক্ত স্বাদ যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই পেলেন প্রথমবার। হ্যাটট্রিকের শিকার এই প্রথম। তবে মনে যা-ই থাকুক, মাথা থেকে আপাতত ওই স্মৃতিটা সরাতে চাইছেন, ‘হতাশ অবশ্যই। তবে ব্যাটসম্যানদের জন্য এই অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। ওই আউট নিয়ে তাই ভাবছি না, সামনে তাকাতে চাই।’কিছুদিন আগে ভারতে চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ওটাগো ভোল্টসের হয়ে। ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন নিয়মিতই। হারের কিনারা থেকে দলকে জয় এনে দিয়েছেন, উদ্ধার করেছেন খাদের কিনারা থেকে। কালও তাঁর জন্য মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। কিন্তু এবার তিনিই তোপের শিকার! যদিও দাবি করলেন, আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি তাতে, ‘আমি মনে করি না এতেই আমার ফর্ম বাজে হয়ে গেল। এখনো খুব ভালো টাচে আছি। চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালো করায় যে আত্মবিশ্বাসটা ছিল, সেটা এখনো আমার সঙ্গী। আশা করি পরের দুই ম্যাচে সেটা কাজে লাগাতে পারব।’নিজে যেমন ব্যাটিং-ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েননি, নিশামের দাবি, দলও প্রথম ম্যাচের হারে দমকে যায়নি। পরশুর ম্যাচের পরই দীর্ঘ এক টিম মিটিং হয়েছে কিউইদের। সিদ্ধান্ত হয়েছে সাহসী ক্রিকেট খেলার, ‘হেরেছি বলে আমরা ভয় পেয়ে যাইনি, খোলসেও ঢুকে যাব না। আমাদের সহজাত ইতিবাচক ক্রিকেটই খেলব পরের ম্যাচগুলোয়। আশা করি, ফল আমাদের পক্ষে আসবে।’নিশামের আশা অন্তত আর একটি ম্যাচে পূরণ না হলেই হয়!পেট্রলবোমা ছুড়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগে বাস পোড়ানো ও হতাহতের ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও জামায়াতে ইসলামীর ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নেতাদের ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উসকানি, পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও অর্থায়নে দুর্বৃত্তরা’ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।মামলার আট ঘণ্টার মাথায় গতকাল রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে আবার ৭২ ঘণ্টার রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ১৮-দলীয় জোট। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ শনিবার ভোর ছয়টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ছয়টা এই কর্মসূচি চলবে।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার, ‘একতরফা’ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়।এর আগে একই দাবিতে গত মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে শুক্রবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ৭১ ঘণ্টা কর্মসূচি পালন করে বিরোধীদলীয় এই জোট। এরপর গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। তা রাতে বাতিল করে অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হয়।এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে দাবি করেন, ‘একতরফা’ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিরুদ্ধে জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও প্রতিবাদ শুরু করছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেআইনিভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে এবং গোয়েন্দা ও দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে পরিস্থিতিকে সংঘাতপূর্ণ করে তুলেছে।বৃহস্পতিবার শাহবাগে গাড়ি পোড়ানো ও হতাহতের ঘটনায় বিএনপিসহ জোটের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং এর আগে মওদুদ আহমদসহ কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে খালেদা জিয়া এই বিবৃতি দেন। তিনি বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে করা সব ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও আটক নেতাদের মুক্তির দাবি করেন।মামলার আসামিরা: বৃহস্পতিবার শাহবাগে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁরা হলেন: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমানউল্লাহ, বরকত উল্লা ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান ও জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া মামলায় তিনজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।এসব নেতার বিরুদ্ধে অবরোধের সমর্থনে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাসে পেট্রলবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিকল্পিতভাবে মানুষ হত্যা, আগুন দিয়ে জানমালের ক্ষতি এবং জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগ আনা হয়। এতে বলা হয়, ২০ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, দু-একটা বাস-গাড়ি ভাঙলে বিক্ষোভ হবে না। ছাত্রদলের হাজার-হাজার নেতা-কর্মীকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি আরও বেশি করে গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুর করতে দলের কর্মীদের উসকানি দিয়েছেন।খালেদা জিয়ার বিবৃতি: গত রাতে দেওয়া বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি যানবাহন ভাঙচুরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। অথচ সেই বক্তব্য বিকৃত করে তাঁর (ফখরুল) বিরুদ্ধে উসকানির মামলা দেওয়া হয়েছে।বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, তাঁর দলের নেতারা প্রকাশ্য জীবন যাপন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবরুদ্ধ কার্যালয়ে আটকা থেকে দলের বক্তব্য নিয়মিত প্রচার করছেন। সেই সুযোগটুকু বন্ধ করে দিতে তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।খালেদা জিয়া দাবি করেন, গুলশান থানায় বোমা, চট্টগ্রামে বোমাবাজি, ঢাকার আজিমপুরে গাড়ি পোড়ানোর মতো ঘটনায় শাসক দল ও এর সহযোগী সংগঠনের লোকজনকে পুলিশ ধরার পরও ছেড়ে দিয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতার বাসায় বোমা হামলার প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে উসকানির দায়ে কোনো মামলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজে বিরোধী দলের লোকদের মালিকানাধীন যানবাহনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রকাশ্য উসকানি দিয়েছেন।বিরোধীদলীয় নেতা সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তফসিল স্থগিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, স্বৈরশাসকের পথ বেছে নেবেন না। তাহলে পরিণতি স্বৈরশাসকদের মতোই হবে। সংলাপের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিন। শান্তি, স্থিতি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র অব্যাহত রাখুন।গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া) ছাড়াও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের পক্ষে নির্বাচনী জনসভা করতে আজ মঙ্গলবার তিনি পীরগঞ্জে আসছেন। শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদ ও নির্বাচন প্রতিহত করতে পীরগঞ্জসহ রংপুরের আট উপজেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮-দলীয় জোট।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আসনে আদতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই নেই। যদিও ব্যালট পেপারে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে নাম থাকছে নূর আলমের। প্রতীকও থাকছে জাপার লাঙ্গল। জাপার এই প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তা প্রত্যাহার দেখানো হয়নি। তিনি কোনো নির্বাচনী সভা করেননি। এমনকি তাঁর পক্ষে পোস্টার ছাপা বা টাঙানো হয়নি।এ প্রসঙ্গে নূর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এর পরও তা প্রত্যাহার দেখানো হলো না। এরশাদের নির্দেশে আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তাই পোস্টার, প্রচারের প্রশ্নই উঠতে পারে না।’জাপার প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা না থাকলেও শেখ হাসিনার পক্ষে পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারাভিযান চলছে। তিনি আজ পীরগঞ্জ উপজেলার খালাসপীরে তরফ মৌজা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন। তাঁর আগমন উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে এলাকায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।যদিও একতরফা এই নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন কোনো কৌতূহল নেই। বরং আছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এলাকায় ভোটের কোনো আমেজও নেই। নেই কোনো তোরণ, ব্যানারও। তবে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান ও শেখ হাসিনার আগমনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার টাঙানো হয়েছে।নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে চাইলে একটি চায়ের দোকানের কর্মচারী আজাদ রহমান বলেন, ‘এইগলা ভোটোত কোনো মজা নাই। ভোটের দিন কী হইবে আর না হইবে এইগলা আলোচনায় খালি মানুষের মুখে মুখে আছে।’ তবে পীরগঞ্জের একজন রিকশাচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘হামার এলাকার বধূ ভোটোত খারাইছে হামরা ভোট দিবার যামো। কায় কোন্টে কী কইল কউক। তাতে হামার যায় আসে না।’শেখ হাসিনার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘ইতিমধ্যে ১০৬টি নির্বাচন কেন্দ্রে কমিটি, প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সভাও করা হচ্ছে।’গতকাল সোমবার বিকেলে রংপুর নগরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে হরতালের ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুজ্জামান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদ ও নির্বাচন প্রতিহত করতে পীরগঞ্জসহ রংপুরের আট উপজেলায় আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটিতে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কাজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে চলেছেন রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে জাপার মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের আহসানুল হক চৌধুরী ও রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগের এইচ এন আশিকুর রহমান।পীরগঞ্জসহ বাকি তিনটি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ওই সব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এরশাদের পক্ষ থেকে তাঁর ছবিসহ পোস্টার টাঙানো হয়েছে। |
ডিয়েগো সিমিওনে লোকটা যেন বিনয়ের অবতার।ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে অনেকবার জিজ্ঞেস করা হলো, এই মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কি শিরোপার দাবিদার?অ্যাটলেটিকো কোচের একই জবাব, ‘৩৮ ম্যাচের লিগ অনেক লম্বা। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের যে আর্থিক শক্তি আর খেলোয়াড়দের মান তাতে পুরোটা সময় ওদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বরং ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই।’ঠিক একই কথা সিমিওনে বলেছিলেন মৌসুমের শুরুতে এবং পরশু রাতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও।এমনিতে কথাটা সত্যি। ‘দুই ঘোড়ার দৌড়’ হয়ে যাওয়া লা লিগায় রিয়াল-বার্সার বাইরে অন্য কোনো দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল প্রায় এক দশক আগে (ভ্যালেন্সিয়া ২০০৩-০৪ মৌসুমে)। ফুটবল অনুরাগীদের এ তথ্য জানা। তার পরও কেন সিমিওনে বারবার এই কথা বলছেন?আসলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে এটাও এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক খেলা। মাঠে নামার আগেই জানিয়ে দেওয়া—তোমরা ফেবারিট, চাপটা তোমাদের ওপর বেশি।প্রতিপক্ষের ওপর সেই চাপ দিয়ে নিজেরা নির্ভার হয়ে যাওয়াটা যদি সিমিওনের কৌশল হয়ে থাকে, তাহলে সেই কৌশল পরশু রাতেও কাজে দিয়েছে। মাদ্রিদ ডার্বিতে তাঁর দল ডিয়েগো কস্তার একমাত্র গোলে হারিয়েছে পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদকে। ১৯৯৯ সালের পর লিগে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে প্রথম জয়। সিমিওনের অধীনে লিগে প্রথম সাত ম্যাচের সবগুলো জিতে ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো শুরু হলো অ্যাটলেটিকোর। দুই পরাশক্তির মধ্যে বার্সেলোনা সাত ম্যাচের সবগুলো জিতলেও রিয়াল এরই মধ্যে একটি ড্র ও একটি হারে ৫ পয়েন্ট পিছিয়ে। সিমিওনে তাঁর কৌশলগত কারণে অস্বীকার করতে পারেন, কিন্তু এই মৌসুমে আটলেটিকোকেও শিরোপার দাবিদার বলতে হবে।সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অ্যাটলেটিকো যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে এটা স্বীকার করেছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিও, ‘জয়টা ওদেরই পাওনা ছিল। ওরা দেখিয়েছে যে ওদের দলটা খুবই গোছানো এবং প্রতিভারও কমতি নেই।’১১ মিনিটে আঙ্গেল ডি মারিয়ার ভুলে রিয়ালের অর্ধে বল পেয়ে গিয়েছিলেন ফিলিপে লুইস। কোকে হয়ে সেটি যায় ডিয়েগো কস্তার দিকে। গোল করতে ভুল করেননি অ্যাটলেটিকোর স্ট্রাইকার। লিগে এটা তাঁর ৮ নম্বর গোল। লিওনেল মেসির সঙ্গে যৌথভাবে এখন পর্যন্ত লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার যেন আসলেই ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটাচ্ছেন।যে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কস্তা-কোকেরা নায়ক হয়ে গেলেন সেখানে আলো ছড়ানোর কথা ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর গ্যারেথ বেলদের। চোট কাটিয়ে অবশেষে লিগে ওয়েলস উইঙ্গারের ঘরের মাঠে অভিষেক হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের ফল বদলানোর মতো কিছু করতে পারেননি তিনি। অন্যদিনের তুলনায় ম্লান ছিলেন রোনালদোও। কোচের মতোই তিনিও স্বীকার করেছেন, ম্যাচটা অ্যাটলেটিকো জিতেছে যোগ্য দল হিসেবে। তবে একটা হারে বেশি কিছু বদলে গেছে বলে মনে করেন না তিনি, ‘এটিকে এত নাটকীয় মাত্রা দেওয়ার কিছু নেই। আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে এবং মাথা উঁচু করে পরের ম্যাচগুলো খেলতে হবে। কারণ এই মৌসুমে অনেক কিছু জিততে হবে।’ এএফপি।আঙুলে ব্যথা পেয়ে পরশু মাঠ ছেড়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সময়। পরে ব্যাটিংও করতে পারেননি। স্ক্যানে ধরা পড়েছে বুড়ো আঙুলে চিড়। এই সিরিজ তো বটেই, শ্রীলঙ্কার আসন্ন সিরিজ থেকেও ছিটকে গেছেন কেন উইলিয়ামসন। অথচ শ্রীলঙ্কায় নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তাঁরই! ওই সিরিজের জন্য কোনো বদলি এখনো জানানো না হলেও এই সিরিজে বদলি হিসেবে বাংলাদেশে আসছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লুক রনকি।সাফল্যের জন্য যদি পুরস্কৃত করা যায় তাহলে ব্যর্থতার জন্য শাস্তি দিলে দোষ কী! ঠিক এই পথেই হাঁটছে হাঙ্গেরিয়ান ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়ন গারি এতো। চারবার হাঙ্গেরিয়ান লিগজয়ী ক্লাবের অনেক ফুটবলার পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে স্পনসরদের কাছ থেকে কিছুদিন আগে গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন। কিন্তু গত সপ্তাহে ৩-০ গোলে এক ম্যাচে হেরে লিগে ৬ নম্বরে নেমে গেছে তারা। শাস্তি হিসেবে তাই খেলোয়াড়দের সবার গাড়ির চাবি জব্দ করেছে ক্লাবটি। পারফরম্যান্স ভালো না হলে নাকি কোনো খেলোয়াড়কে চাবি ফেরত দেওয়া হবে না! এএফপি।যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গরীবপুর গ্রামে গত শনিবারও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নয়টি বাড়ি ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। ওই গ্রামেই ২৬ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের নেতা শফি কামালকে। গরীবপুর খেদাপাড়া ইউনিয়নে।মনিরামপুরের ভোজগাতি ইউনিয়নের জামজামি পাড়া গ্রামে বাড়ি জামায়াত-শিবিরের হামলার শিকার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকের। ওই গ্রামে আরও কয়েকজন হামলার শিকার হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে ও ভাঙচুর হওয়া বাড়িগুলো দেখার জন্য দুজনে যশোর শহর থেকে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় মোটরসাইকেলে করে রওনা হলাম ওই দুই গ্রামের উদ্দেশে।কিন্তু শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে বেগারীতলায় পৌঁছাতেই নিজেদের ছাত্রশিবিরের কর্মী পরিচয় দেওয়া কয়েকজন যুবক আটকে দিলেন মোটরসাইকেল। সামনে আটকে আছে একটি ট্রাক, কয়েকটি মোটরসাইকেল ও রিকশাভ্যান। সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও ওই অবরোধ পার হওয়া গেল না। ফিরতি পথে এক কিলোমিটার আসতে সেনাবাহিনীর টহল দলের চারটি গাড়ি পার হলো। এ সময় পেছন থেকে আসা মোটরসাইকেলের এক চালক জানালেন, বেগারীতলা থেকে অবরোধকারীরা সরে গেছে। কিন্তু আবার সেখানে গিয়ে অবরোধকারীদের ধাওয়া খেতে হলো। কিছুদূর এসে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রেজাউল হোসেন বলেন, আবারও মনিরামপুরকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও গাছ কেটেও সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে। পুলিশ গেলে অবরোধকারীরা পালাচ্ছে, পুলিশ ফিরে এলে আবারও এক অবস্থা।ফেরার পথে দেখা হয় নিহত শফি কামালের ছেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মামুনুর রশীদের সঙ্গে। বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বাড়ি আসা মামুন বলেন, কাল (আজ মঙ্গলবার) তাঁর পরীক্ষা। কিন্তু ঢাকায় যাওয়ার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।গত শনি ও রোববার পরিস্থিতি এমন ছিল না। মনিরামপুর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে রোববার শহরে দেখা হয়েছিল। তিনি ভোজগাতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। রোববার চিকিৎসকের কাছে আসা রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, বেগারীতলা তাঁর ইউনিয়নেরই একটি গ্রাম। বেগারীতলার বাঁশপট্টিতে গত ১৫ মার্চ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেন। এখনো ক্রাচে ভর দিয়ে চলাফেরা করেন। তিনি বলেন, বেগারীতলায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের অবস্থান সব সময়ই শক্তিশালী। একাত্তরে সংলগ্ন হুরগাতি গ্রামে ছিলেন ৩৯ জন রাজাকার। সম্প্রতি ওই এলাকার চালকিডাঙ্গা, টুনিয়াগড়া ও কাশিমনগরকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী শক্ত ঘাঁটি গড়েছে।উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল ইসলাম বলেন, উপজেলার পেয়ারাতলায়ও রয়েছে জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। ১ ডিসেম্বর দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে করে মনিরামপুর সদরে যাওয়ার পথে পেয়ারাতলায় মুখে কাপড় বাঁধা ছয়-সাতজন লোক তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পাশের একটি ইটভাটায় লুকিয়ে রক্ষা পান। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। ২২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।গতকাল পেয়ারাতলা থেকে পুলিশ অবরোধকারী শিবিরের সাত কর্মীকে আটক করে।মনিরামপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উত্তম কুমার দে বলেন, ১৩ ডিসেম্বর চালকিডাঙ্গায় তাঁকে কোপায় ও রড দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও এক পা ভেঙে দেন বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এখনো আতঙ্কিত উত্তম বলেন, ১৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও পুরো সুস্থ হননি।বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পেট্রলবোমা হামলায় গুরুতর আহত চালুয়াহাটি আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মেহের আলী রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন।যশোর ও মনিরামপুরের স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোর খবর থেকে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মনিরামপুরে পুলিশের এক সদস্য, আওয়ামী লীগের দুজন, বিএনপির দুজন ও দুজন চরমপন্থী নিহত হয়েছেন।উপজেলা আওয়ামী লীগের দাবি, জায়ায়াত-শিবিরের হামলায় এ পর্যন্ত তাঁদের দুই শতাধিক কর্মী আহত হয়েছেন এবং দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মনিরামপুর উপজেলা জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ করা হলে যশোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নূর-ই-আল মামুন বলেন, ‘আমরা যশোর জেলার সর্বত্র শান্তিপূর্ণভাবে ১৮ দলের ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছি। মনিরামপুরেও জামায়াত এর ব্যতিক্রম করেনি। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের বিবদমান পক্ষগুলো নিজেরা নাশকতা করে জামায়াতের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।’ |
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন ব্যাটালিয়নের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলার মারিশ্যায় বিজিবির প্রশিক্ষণ মাঠে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ নতুন ৫৪ ব্যাটালিয়নের পতাকা উত্তোলন করেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তের অপরাধ দমনের চেষ্টা চলছে।বিজিবির মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অরক্ষিত সীমান্ত বিজিবির সার্বক্ষণিক নজরে আনতে কাজ চলছে।৫৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিজিবির মহাপরিচালক।শিলাবৃষ্টি হয়। কিন্তু কখনো কি গোলাপ-বৃষ্টির কথা শুনেছেন? আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া কলকাতা টেস্টে দেখা যাবে তেমনটাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কলকাতা টেস্টটা হবে টেন্ডুলকারের ১৯৯তম টেস্ট। ইডেন গার্ডেনে তাঁর শেষ টেস্টও। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) তাই টেন্ডুলকারের বিদায়টাকে স্মরণীয় করতে ১৯৯ কেজি গোলাপের পাপড়ি ছিটানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। সম্ভবত টেস্টের শেষ দিন হেলিকপ্টারে করে পাপড়িগুলো ছিটানো হবে আকাশ থেকে। শুধু কি তাই? টেন্ডুলকারের জীবনের নানা দিক এবং বিভিন্ন সময়ের মূল্যবান ছবি দিয়ে একটা স্মরণিকা বানানো হয়েছে। টেস্টের প্রথম দিন টিকিটের পরিবর্তে দর্শকদের দেওয়া হবে এই স্মরণিকা। ওয়েবসাইট।কখনো মোহামেডান, কখনো ভিক্টোরিয়া, কখনো বা গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স। দলের নাম যাই হোক, প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে গত চার বছরে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন দলের পেছনের মানুষটার নাম একই—লুৎফর রহমান। কাল লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গাজী ট্যাংকের কর্ণধার খুলে বললেন তাঁর শিরোপা জয়ের মন্ত্রের কথা এ নিয়ে গত চারবারের মধ্যে তিনবারই আপনার দল লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো। কতটা ভাগ্যবান মনে করেন নিজেকে?লুৎফর রহমান: সব বৈরিতা পেরিয়ে আমরা যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, সে জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। এর সব কৃতিত্ব আমার খেলোয়াড়দের। ঠিক কী ধরনের বৈরিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন আপনারা?লুৎফর: আপনারা দেখেছেন, একটা ম্যাচে কীভাবে আমাদের বিরুদ্ধে পাঁচটা এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল। আসলে বিভিন্নভাবেই আমরা হেনস্তা হয়েছি। এই সুপার লিগেও একটা ম্যাচে আমাদের বিরুদ্ধে বাজে আম্পায়ারিং হয়েছে। এবার তো লিগের শুরুতেই আপনার সামনে বাধা ছিল। দলবদলের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে প্লেয়ার বাই চয়েস পদ্ধতিতে হলো সবকিছু...লুৎফর: আমাকে ঠেকানোর জন্য দলবদল পদ্ধতিই বদলে ফেলা হয়েছে। সে হিসেবে আমি আমার জবাব মাঠেই দিয়ে দিয়েছি। একটা দলকে কীভাবে সংগঠিত করে চ্যাম্পিয়ন করা যায়, সেটা আমি প্রমাণ করেছি। সংগঠক হিসেবে আমি সার্থক। আপনি বৈরিতার কথা বললেন, বাধা দেওয়ার কথা বললেন। আপনার কি মনে হয়, ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণেই কি এত কিছুর উৎপত্তি?লুৎফর: এটা আমি বলতে পারব না। তবে আপনারা দেখেছেন, গত দুই-তিন বছর ধরেই আমি ক্লাব রাজনীতির শিকার। একবার তো দলবদলের আগের দিন পুরো দল নিয়ে আমাকে বের হয়ে যেতে হয়েছিল। শুধু খেলোয়ড়দের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য আমি সেবার আরেকটা দল করেছি। আর এবার তো নিজে পয়সা খরচ করে আমি আমার নিজের দল করেছি। শোনা যাচ্ছে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স আগামীবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ হয়ে যাবে...লুৎফর: এখানেও কিন্তু বৈরিতা। কথা ছিল গাজী ট্যাংকের নামের পাশে ব্র্যাকেটে ‘লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ’ লেখা থাকবে। আমি সে জন্য বোর্ডকে তিনটি চিঠি দিয়েছি। একটারও উত্তর পাইনি। তাহলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ভবিষ্যৎ কী?লুৎফর: আমি রূপগঞ্জের ছেলে। সেখানে বিশ্বমানের ক্রিকেট একাডেমি করার জন্য আমি জমি কিনেছি। আমার সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকারের কথা হয়েছে। তিনিও হয়তো থাকবেন আমার সঙ্গে। একাডেমিতে টেন্ডুলকারের ভূমিকা কী থাকবে?লুৎফর: আমার সঙ্গে থাকবেন। হয়তো বা নামকরণেও তিনি থাকতে পারেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে এখনো কথা হয়নি। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ নামটার জন্য যেদিন বোর্ডের অনুমতি পাব, সেদিন গ্রান্ড প্রোগ্রাম করব। সেখানেও হয়তো টেন্ডুলকার আসবেন। তাঁকে আমি ইতিমধ্যেই দাওয়াত করেছি। তিনি দাওয়াত গ্রহণ করেছেন। সংগঠক হিসেবে আপনার সাফল্যের রহস্যটা বলুন। এটা কি শুধু খেলোয়াড়দের ভালো পেমেন্ট দেওয়ার কারণেই?লুৎফর: পেমেন্ট তো সব ক্লাবই করে। আমি মনে করি একটা দলকে একত্রিত করে একটা পরিবারভুক্ত করতে হয়, দলের প্রতি একটা আলাদা অনুভূতি তৈরি করতে হয়। আমার মনে হয়, আমি সেটা করতে পেরেছি। স্থানীয় খেলোয়াড় বলেন বা বিদেশি খেলোয়াড় বলেন, সেই অনুভূতিটা আমি ছড়িয়ে দিতে পারি। এখানে টাকা কোনো ব্যাপার না। মোহামেডান ক্লাবের হয়ে কি আবার দেখা যাবে আপনাকে?লুৎফর: (হাসি) দেখা যেতে পারে। আমি তো মোহামেডানেরই সদস্য।সিলেট নগরে দুই দিন ধরে অনেকটা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিরাজ করছে। হরতাল-অবরোধ কিংবা স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস কর্মসূচি না থাকায় নগরবাসী আতঙ্কমুক্ত হয়ে পথ চলছে। ১৮-দলীয় জোটের ঢাকামুখী কর্মসূচি হওয়ায় বহু দিন পর অনেকটা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে নগরবাসী ‘মুক্তি’ও পেয়েছে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেন।তবে রাজধানী ঢাকাসহ দূরপাল্লার যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে দক্ষিণ সুরমার সিলামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নূরুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ভোগ আছে, তবে নেতা-ফেতারা (নেতা-কর্মীরা) না থাকায় ভয়-ডরটা কমছে।’ ১৮-দলীয় জোট সূত্রে জানা গেছে, ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত থাকা সিলেট নগরসহ আশপাশ এলাকা শান্ত হয়ে পড়ে। টানা অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিরও বিরতি হওয়ায় মানুষের মনেও স্বস্তিভাব দেখা দেয়। নগরের কেন্দ্রস্থলের বন্দরবাজার এলাকার খুদে ব্যবসায়ী আজিজ মিয়া বলেন, ‘নেতারা নাই, কর্মসূচিও নাই। মানুষ ঘর থেইক্যা বার অইতাছে মনে হয়। দুই দিন ধইর্যা বেচাকেনাও খারাপ অইতাছে না।’ দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা চাকরিজীবী ইসমাইল আহমদ বলেন, ‘ঢাকাকেন্দ্রিক ১৮ দল ঘোষিত গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি থাকায় দলগুলোর নেতা-কর্মীরা এখন ঢাকামুখী। এ কারণেই বোধ হয় কোনো সহিংসতা নগরে চোখে পড়ছে না। ফলে নগরবাসী এই কয় দিন অনেকটা শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছে।’ নগরে বসবাসরত একাধিক বাসিন্দা জানান, স্থানীয় কর্মসূচি না থাকায় জামায়াত-শিবির নগরে কোনো সহিংসতা চালাতে পারছে না। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকায় সেভাবে চোরাগোপ্তা হামলাও তারা করতে পারছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে নাগরিক জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহামঞ্চদ আয়ুব প্রথম আলোকে জানান, মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। |
বড় একটা ব্যানারে লেখা, ‘মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা’। বাস্তবে সেটাই হলো। যদিও মতবিনিময় বলতে বিসিবির বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসানের গুণকীর্তনই হলো বেশি। সঙ্গে বিসিবির নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয়পর্বও থাকল।সম্মিলিত পরিষদ এখন পর্যন্ত ক্যাটাগরি-২-এর আওতায় ক্লাব কাউন্সিলরদেরই মঞ্চ। সেই মঞ্চে কাল তোলা হলো ১৪ সম্ভাব্য প্রার্থীকে। যাঁর মধ্যে আছেন বিসিবির বর্তমান অস্থায়ী কমিটির সদস্য আফজালুর রহমান সিনহা, মাহবুবুল আনাম, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, এনায়েত হোসেন, জালাল ইউনুস, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও গোলাম মুর্তজা। অস্থায়ী কমিটির বাইরে থেকে আছেন ইয়াং পেগাসাসের আহমেদ ইকবাল হাসান, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের তানজিল চৌধুরী, কলাবাগানের নাজমুল করিম (টিংকু), ভিক্টোরিয়ার নজিব আহমেদ, র্যাপিড ফাউন্ডেশনের হানিফ ভূঁইয়া ও শেখ জামালের শওকত আজিজ রাসেল। সম্মিলিত পরিষদে পরে জেলা ও বিভাগ থেকে আসা ক্যাটাগরি-১ এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে আসা ক্যাটাগরি-৩-এর প্রার্থীরাও যোগ হবেন।কাল ঘোষিত ১৪ জনের মধ্য থেকেই ক্যাটাগরি-২-এর ১২ প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন নাজমুল হাসান। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও ১৪ জনের তালিকায় নেই স্বয়ং নাজমুল হাসান! গুঞ্জনকে সত্যি করে তিনি এখন সম্ভবত কোটাতেই সরাসরি বোর্ড পরিচালক হবেন। নাজমুল হাসানই দিলেন সে রকম আভাস, ‘একটা হিসেবে তো এই ১৪ জনের পরও আরও একজন লাগবে। এখন আপনারাই বুঝে নেন কী হতে পারে...।’ পরে নাজমুল হাসানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, নাজমুলের ইঙ্গিতটা এনএসসি থেকে যে তিন পরিচালক আসবেন, সেদিকেই। ওই ১৪ জনের মধ্য থেকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দুজন এবং নাজমুলই হবেন এনএসসির তিন পরিচালক। সভায় দাবি করা হয়, বিসিবির নির্বাচনে নাজমুল হাসানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে ঢাকার ৪২টি ক্লাব।সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয়পর্বের আগে ভবিষ্যতে নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে ক্রিকেট বোর্ডকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন প্রার্থীদের অনেকেই। ক্যাটাগরি-৩-এর সম্ভাব্য প্রার্থী গাজী আশরাফ হোসেন যেমন বললেন, ‘তাঁর (নাজমুল হাসান) নেতৃত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যাঁর ওপর ঢাকার ৪২টি ক্লাব আস্থা রাখতে পারে, তাঁর যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলাই উচিত নয়।’একই সুর অন্যদেরও। বক্তব্য রেখেছেন ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর ও বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন (পল্টু), আবাহনী ক্লাবের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, এনায়েত হোসেন, আফজালুর রহমান সিনহা, মাহবুবুল আনাম ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম।দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গঠনমূলক বিতর্ক করলে সংকট নিরসন করা সম্ভব। গঠনমূলক বিতর্কের মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই। গতকাল বুধবার শরীয়তপুরে বিতর্ক উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে পেপসোডেন্ট-প্রথম আলো জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০১৩। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় উৎসব।শরীয়তপুরের পালং উচ্চবিদ্যালয়ে সকাল নয়টায় উৎসব শুরু হয়। উদ্বোধন করেন শরীয়তপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এ কে এম সুলতান। তিনি বলেন, জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে নিজের সঙ্গে বিতর্ক করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেই বিতর্ক করতে পারলে সুফল পাওয়া যায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গঠনমূলক বিতর্ক করলে সংকট নিরসন করা সম্ভব। আরও বক্তব্য দেন শরীয়তপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রদ্যুৎ কুমার দাস, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুল হুদা, শরীয়তপুর সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার ঘোষ, সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের প্রভাষক রোমেনা আফরোজ, পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।উৎসবে জেলার ১০টি বিদ্যালয় অংশ নেয়। সেগুলো হলো পালং উচ্চবিদ্যালয়, শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নড়িয়া বিহারিলাল উচ্চবিদ্যালয়, ভেদরগঞ্জ মডেল উচ্চবিদ্যালয়, সিড্যা উচ্চবিদ্যালয়, জাজিরা মোহর আলী উচ্চবিদ্যালয়, আংগারিয়া উচ্চবিদ্যালয়, বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয় ও চিকন্দী শরফ আলী উচ্চবিদ্যালয়।শরীয়তপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন এবং ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা উচ্চবিদ্যালয় রানার্সআপ হয়। সিড্যা উচ্চবিদ্যালয়ের বিতার্কিক ফারজানা তরি সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়। শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসমিনা নাজিয়া বলে, ‘গঠনমূলক বিতর্কের মাধ্যমেই আমরা সমস্যার সমাধান করতে চাই।’ সিড্যা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা তরি বলে, ‘অজপাড়াগাঁয়ের একটি বিদ্যালয় থেকে প্রথম আলোর ডাকে বিতর্ক উৎসবে অংশ নিয়েছি। এভাবে বিতর্ক করেই জীবনের সব সংকট আমরা দূর করতে পারব।’বিতর্ক অনুষ্ঠানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন প্রদ্যুৎ কুমার দাস, নাজমুল হুদা, উত্তম কুমার ঘোষ, দিলীপ কুমার বাড়ৈ, শারমিন নাহার তনু, জি এম নাহিদ, রোমেনা আফরোজ, দীপ্তি ঘোষ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, রীনা বালা ও পলাশ চন্দ্র লোধরায়।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ু্লসভার সভাপতি রতন কুমার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুজ দত্ত।খোলা মাঠে বিশাল মঞ্চ করেই হচ্ছে গান-বাজনার জলসা। কিন্তু বাজনার তালে তালে উন্মাতাল নাচ বা গানের সঙ্গে গলা মিলিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ার আয়োজন এটি নয়। এ গান-বাজনাতেও আনন্দ-উচ্ছ্বাস আছে। তবে তার প্রকাশ ভিন্ন। এ গান সুরের গভীরে গিয়ে আত্মনিমগ্ন হওয়ার। এ জলসা সুরের মূর্ছনা, বাজনার তাল, লয়ের বিপুল বৈচিত্র্যময় নান্দনিক সৃজনশৈলীর প্রকাশে অভিভূত হওয়ার। সেই সুর যখন হূদয় ছুঁয়ে যায়, তখন শ্রোতার নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বের হয়ে আসে ‘বাহ্ বাহ্’ ধ্বনি। কোলের ওপর ফেলে রাখা নিশ্চল হাত দুটো তৎপর হয়ে ওঠে করতালিতে শিল্পীকে অভিনন্দিত করতে। দুই রাত ধরে তাই করছেন উচ্চাঙ্গসংগীত শুনতে আসা কয়েক হাজার শ্রোতা-দর্শক।বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আর্মি স্টেডিয়ামে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের গতকাল শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন। উৎসবের সহযোগী কলকাতার সংগীত রিসার্চ একাডেমি (এসআরএ)। এতে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে প্রথম আলো। সহযোগিতায় রয়েছে দ্য ডেইলি স্টার ও এবিসি রেডিও। সম্প্রচার সহযোগিতায় মাছরাঙা টেলিভিশন। ২৮ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় বারের মতো এ উৎসব শুরু হয়েছে। চলবে কাল ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে আগাম নাম নিবন্ধন করে শ্রোতারা এ উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে ভোর পর্যন্ত চলছে গান-বাজনা ও নৃত্যের পরিবেশনা।উদ্বোধনী অনুষ্ঠান: দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় পণ্ডিত বারীন মজুমদারকে। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলা গান হলো বাণীপ্রধান। হিন্দুস্তানি সংগীতে সুর প্রাধান্য পায়, বাণী সেখানে গৌণ। গায়ক সেই সুরের দোলা শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিন্দুস্তানি সংগীতে বিশ্বসংসারকে বর্ণনার চেষ্টা রয়েছে। এ সংগীতের মধ্য দিয়ে সেই বৃহৎ পরিমণ্ডলে যাওয়ার সুযোগ আছে। আমাদের উদ্দেশ্য সংগীতের সংকীর্ণ সীমানা থেকে বৃহতের কাছে যাওয়া।’বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগীতবেত্তা আলীমুর রহমান খান। তিনি জানান, আদম থেকে ইনসান হয়ে ওঠাই মানুষের সাধনা। এ জন্য চিন্তাচেতনা, ধ্যান-ধারণা ও সাধনার প্রয়োজন। সংগীতের সাধনা ইনসান হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এসআরএর নির্বাহী পরিচালক রবি মাথুর ও বেঙ্গল গ্রুপের সভাপতি আবুল খায়ের।সুরে-ছন্দে: বিদুষী আলারমেল ভাল্লির ভরতনাট্যম নৃত্য দিয়ে শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন। তিনি শুরু করেন প্রকৃতি ও সূর্যের সৌন্দর্য বর্ণনা ও স্তুতিবিষয়ক ‘আদিত্য নমস্তপ্রিয়াম’ নামের নৃত্য দিয়ে। তাঁর শেষ পরিবেশনা ছিল ‘সুয়ারালায়া’। এ নাচে ভরতনাট্যমের বিভিন্ন মুদ্রাকে, বিশেষ করে পায়ের কাজগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরেন শিল্পী। প্রতিটি নাচ শুরুর আগে শিল্পী নাচের বিষয়বস্তু, বোল ও অলংকরণের বর্ণনা দেন। ফলে পরিবেশনাগুলো দর্শকদের কাছে আরও বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল।এরপরে ছিল সাকেত সাহুর বেহালাবাদন। তাঁর বাদনে করুণ সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়ে হেমন্তের স্তব্ধ হিমেল রাতের হাওয়ায়। রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় রাগ ও বেহাগ দিয়ে বেহালাবাদন শুরু করেন তিনি।গতকাল আরও ছিল কর্ণাটকি সংগীতশিল্পী বিদুষী বম্বে জয়শ্রীর পরিবেশনা, বাংলাদেশের অসিত দের কণ্ঠসংগীত, পণ্ডিত পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের সেতারবাদন, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কণ্ঠসংগীত ও ওস্তাদ রইস খানের সেতারবাদন। আজকের অনুষ্ঠান: রাজরূপা চৌধুরীর সরোদবাদন দিয়ে শুরু হবে অধিবেশন। এরপর কণ্ঠসংগীত পরিবেশন করবেন কুমার মাধুর। পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা পরিবেশন করবেন সন্তুরবাদন। পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকরের কণ্ঠসংগীত, পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর তবলাবাদন, রিনাত ফোওজিয়ার সেতারবাদন, বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকর পরিবেশন করবেন কণ্ঠসংগীত। শেষ হবে পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশির সুরে।এমন জোর কদমে হাঁটছেন, ছুটছেনই বলা যায়। পরনে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি-কালো মুজিব কোট। গলায় মাফলার। পেছনে শ খানেক লোক। তরুণদের সংখ্যা ভারী। আছে একঝাঁক কচি-কাঁচা, মাঝেমধ্যে স্লোগান দিচ্ছে।মেঠো পথ, জমির আল ধরে তিনি ঢুকে পড়ছেন এবাড়ি-ওবাড়ি। হাসিমুখে লম্বা সালাম দিচ্ছেন। বলছেন, ‘গতবার আপনাদের আশীর্বাদ পেয়েছি। এবারও এসেছি দোয়া চাইতে।’তিনি জুনাইদ আহমেদ ওরফে পলক। গতবারের সাংসদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জুনাইদ নৌকা মার্কা নিয়ে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মিজানুর রহমান। মার্কা হাতুড়ি।নাটোরের বাকি তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।কুয়াশায় আচ্ছন্ন শনিবার দুপুরে জুনাইদের সঙ্গে দেখা সিংড়ার তাজপুর ইউনিয়নের হরিপুরবাদ্যিকরপাড়ায়। আত্রাই নদের ওপর বাঁশের সেতু। মোটরসাইকেল থেকে নেমে সেতু পেরিয়ে গ্রামে ঢুকলেন তিনি।সিংড়া উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন, ৫৫৬টি গ্রাম। ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজারের বেশি। ভোট চাইতে চাইতেই জুনাইদ কথা বলছিলেন আমাদের সঙ্গে। প্রতিদিন সকালে বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে গণসংযোগ। এদিন ছিল একাদশতম ইউনিয়নের গণসংযোগ।এই নির্বাচনে সিংড়াকে মনে হলো ব্যতিক্রম। হইহই রইরই না থাকলেও, বেশ সরগরম পরিবেশ। মাইকে প্রচার চলছে। দেয়ালে পোস্টারও পড়েছে প্রচুর। লোকজনের মধ্যেও ভোটের আলোচনা আছে।আয়-ব্যয়, সম্পদ: জুনাইদ আহমেদ গতবার হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন তাঁর বার্ষিক আয় এক লাখ ১৮ হাজার টাকা, ব্যয়ও তাই। এবারের হলফনামায় তিনি আয় দেখিয়েছেন ১৮ লাখ দুই হাজার ৭৫২ টাকা। স্ত্রীর সাত লাখ আট হাজার ৩০০ টাকা।গতবারের হলফনামায় নিজের নগদ ৩০ হাজার, ব্যাংকে ২০ হাজার, সঞ্চয়পত্র ১৮ হাজার টাকার উল্লেখ ছিল। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, আসবাবপত্রসহ অস্থাবর সম্পদ ছিল দুই লাখ এক হাজার টাকার। স্থাবর সম্পত্তি ছিল ২০ হাজার টাকার ৩৩ শতক কৃষিজমি ও ৯০ হাজার টাকার ১৮ শতক অকৃষি জমি।এবার নগদ দুই লাখ টাকা, ব্যাংকে চার লাখ ৬১ হাজার ৪০৪ টাকা, শেয়ারবাজারে ছয় লাখ ৯৯ হাজার টাকা, ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার ৬২২ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি, দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০ হাজার টাকার আসবাব, ৪১ তোলা সোনা। স্থাবর সম্পত্তি ২৪২ শতক কৃষিজমি, দোতলা পাকা বাড়ি, চারটি দোকানসহ চার শতক অকৃষি জমি।স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বেশি: গতবারের হলফনামায় স্ত্রীর নগদ ৫০ হাজার এবং ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা ছিল। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, স্বর্ণালংকারসহ অস্থাবর সম্পদ ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার টাকার। ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫ শতক অকৃষি জমি।এবার নগদ ১০ লাখ টাকা, ব্যাংকে ৩৮ লাখ ৮৭৩ টাকা, ভিশন বিল্ডার্স লিমিটেড কোম্পানির ৮০ শতাংশ শেয়ার, ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকার প্রাইভেট কার, ১০৩ তোলা সোনা। ৬ দশমিক ৬২ একর কৃষি ও এক একর অকৃষি জমি।পাঁচ বছরে সাংসদ নিজে উপহার পেয়েছেন ৪১ তোলা সোনা, স্ত্রী উপহার পেয়েছেন ১০৩ তোলা সোনা। দুজনেই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, এসি, ফ্রিজ উপহার পেয়েছেন একটি করে। দান পেয়েছেন এক একর অকৃষি জমিও।গণসংযোগের মধ্যেই সম্পদ নিয়ে কথা হলো জুনাইদের সঙ্গে। সমর্থক ও কর্মী পরিবেষ্টিত তিনি বলেছেন, তিনি আইনজীবী, সে আয় আছে। সাংসদ হিসেবে মাসে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা সম্মানী পান। আছে আপ্যায়ন, ভ্রমণ ও অন্যান্য ভাতা। ইউএনডিপি, ইউএসএইডসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সেমিনার ও টিভি টকশো থেকে আয় আছে। অকৃষি জমিটি স্ত্রীকে দিয়েছেন তাঁর বাবা। গাড়ি কিনেছেন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে।জুনাইদ জোর গলায় বললেন, ‘আমিই দেশের সবচেয়ে গরিব এমপি, এটা দাবি করতে পারি। তবে এটাও স্বীকার করি, আমি ফেরেস্তা না, আবার শয়তানও না। যেসব ভুল হয়েছে, তার জন্য আমি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চাইছি। ভোটাররা ক্ষমা করবেন বলে আশা রাখি।’‘ভুলটা কী ছিল?’ তিনি বললেন, ‘একটা বড় ভুল হয়েছে, সোনার নৌকা বা অলংকার উপহার নেওয়া। বহু জনসভায় ও অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী এসব দিয়েছেন। পরে বুঝেছি এবং গত দুই বছর থেকে একটিও উপহার নেইনি।’‘আশপাশে সবাই ভোট ছাড়া সাংসদ হয়ে যাচ্ছেন, আপনি হাড়কাঁপানো শীতে মাঠে-ঘাটে ঘুরছেন, খারাপ লাগছে?’ বললেন, ‘প্রথমটায় খারাপই লেগেছিল। মাঠে নেমে মনে হচ্ছে, এটি আমার জন্য বরং আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। যেটুকু ভুল-ভ্রান্তি ছিল, এর মধ্য দিয়ে তা শুধরে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি।’তাজপুর থেকে আমরা যাত্রা করলাম সিংড়ার ৩ নম্বর ইউনিয়ন ইটালির দিকে। তবে যেতে ভিসা লাগে না! এখানে কুমগ্রামে মিজানুর রহমানও গণসংযোগ করছেন। পৌঁছে জানা গেল, তিনি চলে গেছেন কয়েক গ্রাম পরের বনকুড়ি গ্রামে। তাজপুর থেকে কুমগ্রাম হয়ে বনকুড়ি প্রায় ৩০ কিলোমিটার। দুপুরে বনকুড়ির একটি বাজারে পাওয়া গেল তাঁকে। তাঁর পরনেও সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। গলার মাফলারটিও সফেদ। পায়ে পাম্প সু। লম্বা দোহারা চেহারা। জনা কুড়ি কর্মী সঙ্গে। ভোটারদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, বুকে জড়িয়ে ধরছেন। এদিন তাঁরও ছিল একাদশতম ইউনিয়নে গণসংযোগ।মিজানুর রহমান এবার প্রথম সংসদ নির্বাচন করছেন। কাজেই তাঁর সম্পদের তুলনা করার সুযোগ নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, কেউ কোনো ভয়ভীতি দেখাচ্ছে কি না—জানাতে চাইলে বললেন, ‘ভয়ভীতি তেমন কিছু নেই। তবে প্রধান বিরোধী দল অংশ না নেওয়ায় তেমন উত্তাপ নেই।’ভোটাররা বললেন, হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই হতে যাচ্ছে এই আসনে। উভয় প্রর্থীরই ধারণা, প্রায় ৬০ ভাগের মতো ভোট পড়বে। হরিপুরবাদ্যিকরপাড়ার ব্যবসায়ী তাপস সরকার বলছিলেন, যদি গন্ডোগোল না বাধে, তবে তিনি ভোট দিতে যাবেন। বনকুড়ির কৃষক সিদ্দিকুর রহমানও বললেন, অধিকার যখন আছে, তখন ভোট দিতে যাবেন বৈকি। |
‘আলো আঁধারকে জয় করবেই, ক্ষমা করো বুদ্ধ।’ বুদ্ধের কাছে এই ছিল ভক্তদের প্রার্থনা। গতকাল রোববার সকালের সেই বিশেষ প্রার্থনায় শামিল হয়েছিলেন কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা। রামুর বৌদ্ধবিহারে হামলার এক বছর পূর্তিতে এ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধবিহার ও বসতবাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রামুর লাল চিং-সাদা চিং বিহারে সমবেত হয়েছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ।ভোর পাঁচটায় বুদ্ধপূজার মাধ্যমে রামু হামলার এক বছর পূর্তি দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। সকাল নয়টায় সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মহাসংঘদান কর্মসূচি। রামুর কেন্দ্রীয় সীমাবিহারের অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথেরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মসেন মহাথের। বক্তব্য দেন পটিয়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ সংঘপ্রিয় মহাথের, উখিয়া বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ জ্যোতিপ্রিয় ভিক্ষু ও রামু মৈত্রী বিহারের ভিক্ষু সারমিত্র থের। সভায় সবার সুখশান্তি কামনা করে পঞ্চশীল প্রার্থনা করান নিবারণ বড়ুয়া।রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদ দিনব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন করে। বিকেল চারটায় রজত বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সঞ্চৃতিচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিআইবির চেয়ারপারসন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘যারা প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে হামলা চালিয়েছে, এই সঞ্চৃতিচারণা সভা থেকে তাদের প্রতি ঘৃণা জানাচ্ছি। নতুন স্থাপত্যের সামনে দাঁড়িয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধ্বংস হওয়া বিহারগুলো নির্মাণ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমি যখন সীমাবিহারে যাই, তখন দেখেছি বৌদ্ধবিহারের ভেতরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রীর ছবিসংবলিত কিছু পোস্টার টাঙানো আছে। শেখ হাসিনার ছবি টাঙানোর বিষয়টা তাঁর কানে পৌঁছে দেওয়া হোক। আমি আশা করব, তিনি ছবির ঘটনায় বিব্রত বোধ করবেন। উপাসনালয়ে ভগবান বুদ্ধ থাকেন—সেখানে মানুষ পূজা করেন, অর্ঘ্য দেন। সেখান থেকে তিনি ছবি সরিয়ে নেওয়া নির্দেশ দেবেন।’এ সভায় বক্তব্য দেন সমাজচিন্তক সলিমুল্লাহ খান, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক মোশতাক আহমদ, সুনীল বড়ুয়া, প্রবীর বড়ুয়া প্রমুখ।অনুষ্ঠান উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক বিপুল বড়ুয়া বলেন, ‘গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বুদ্ধমূর্তি, বৌদ্ধবিহার ও বৌদ্ধবসতিতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ উগ্র সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে এবং বিভীষিকাময় দিনটিকে সঞ্চরণের জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন। আমরা হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।’ডেভিড বেকহাম একটা ক্লাব কেনার ইচ্ছে জানিয়েছিলেন আগেই। ক্লাবের মালিক বনে যাওয়ার লক্ষ্যে আরেক ধাপ এগিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় ইউরোপে খেললেও মালিক এবং ব্যবসায়ীর চোখে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাবগুলোই তাঁর পছন্দ। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কামানো টাকাটা তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতেই বেশি আগ্রহী। কয়েকটি ক্লাব দেখেছেন। তার মধ্যে মায়ামিই তাঁর এক নম্বর পছন্দ। বেকহামের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, ‘মায়ামিই প্রথম পছন্দ। তবে এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’ ২০০৯ সালে মেজর লিগ সকারে নিয়ে আসা ক্লাবটির বলিভিয়ান কোটিপতি-মালিক মার্সেলো ক্লেয়ারের সঙ্গে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। এএফপি।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টি (জাপা) বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও দলটির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনা চলছে। মোট কত আসন জাপাকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং কী কৌশলে হবে, তা ঠিক করতে দুই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এই আলোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া ১৪ দলের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি হবে।আওয়ামী লীগ ও জাপার মধ্যে আসনভিত্তিক সমঝোতার বিষয়ে দুই দলের কেউই প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। তবে জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে সমঝোতা করেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে উভয় দলের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।গত সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দল হিসেবে জাপাকে ৫০টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। অবশ্য ৫০টির মধ্যে সাত-আটটি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও নির্বাচন করেছিলেন। বাকি আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকধারী কোনো প্রার্থী ছিলেন না। ওই নির্বাচনে জাপা ৩০টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল। এই ৩০ আসনসহ জাপাকে গত নির্বাচনের চেয়ে আরও বেশি আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে বলে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের সূত্র থেকে জানা গেছে।দল দুটির নীতিনির্ধারনী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের কাছে জাপা ৬০ থেকে ৭০টি আসন চেয়েছে। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে গোপনে আলোচনা চলছে। এরমধ্যে গত নির্বাচনে যেসব আসনে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন, সেসব আসনে জাপাকে ছাড় দেওয়া হতে পারে। গতকাল শুক্রবার ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এরশাদের সঙ্গে সমঝোতার পর সংশ্লিষ্ট আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নিতে পারে। যেহেতু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করছে এবং জাপা মহাজোট থেকে বেরিয়ে আলাদা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, তাই আসন ভাগাভাগির ধরন বা কৌশল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।অবশ্য আসন নিয়ে গোপন সমঝোতার লক্ষ্যে আলোচনার কথা অস্বীকার করেছেন জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন আহমেদ। তিনি দাবি করেন, জাপা মহাজোট থেকে বেরিয়ে নির্বাচন করছে, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হচ্ছে না।রাজধানীর প্রবেশপথসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে বিরক্ত সৈয়দ তাহসিনুল হক। গতকাল সোমবার গুলশান-২ নম্বর মোড়ে একটি চায়ের দোকানে বসে বনরুটি খেতে খেতে নিজের ক্ষোভ ঝাড়ছিলেন তিনি। ‘বউ-সন্তানের মুখে ভাত জোগাতে বাইরে বের হয়ে আমরা সাধারণ মানুষই আগুনে পুড়ে মরি। ককটেলে হাত-পা উড়ে যায়। আবার হয়রানির শিকারও আমরাই হই।’গুলশানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। থাকেন শনির আখড়ায়। গত দুদিন গণপরিবহনের অভাব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তল্লাশি ও বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের হয়রানিতে বিরক্ত তিনি। পাশে বসা ছিলেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার অভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধান দুই দলের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি।দুপুর সাড়ে ১২টা। রামপুরা বাজার। ফুটপাতের ওপরই চা-পানের অস্থায়ী দোকান তাঁর। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করে দিতে বলে। সেই থেকে দোকান বন্ধ। বন্ধ দোকান পাহারা দিচ্ছিলেন তিনি। সোহেল বলেন, ‘পেটের দায়ে বিরোধী দলের অবরোধ মানি নাই। কিন্তু সরকারে যখন বন্ধ রাখতে কইছে, তখন বন্ধ করছি। কিন্তু বাসায় বাজার নাই। মায় অসুস্থ। এখন দোকানে যদি আগুন লাগায় দেয়, সে ভয়ে পাহারা দিতাছি।’দুপুর আড়াইটা। কাকরাইল মোড়ে পুলিশের তল্লাশিতে নিজের ব্যাগ রেখে হাঁটা ধরেন তাশফিয়া রহমান। মিরপুর থেকে যাচ্ছেন কেরানীগঞ্জে বোনের বাসায়। তিনি জানান, মিরপুর থেকে কাকরাইল পর্যন্ত দুই দফায় রিকশা পাল্টিয়েছেন। এখন রাজমণি সিনেমা হলের সামনে পুলিশ তল্লাশির নামে ব্যাগ থেকে কাঁথা বের করে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। এসব ময়লা কাঁথা কীভাবে বোনের সদ্যোজাত বাচ্চাকে দেবেন? জানান, পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও তারা ইচ্ছে করেই এ কাজ করেছে।বেলা সাড়ে তিনটা। ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরোবর। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ক্লাস না হলেও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ঘাড়ের ওপরে। তাই একসঙ্গে পড়তে বসেছেন রুচি, তানহা, মারুফ, সিদ্ধার্থ, পাপন, শামীম, নিউটন। তাঁরা ধানমন্ডির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কিন্তু চা খেতে খেতে আলোচনা চলছে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে। ‘একজন ক্ষমতায় গিয়ে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব দেখাচ্ছেন, আরেকজন প্রতিহিংসার প্রতিমূর্তি সেজে যুদ্ধাপরাধীর কাঁধে ভর করে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।’ মারুফের এমন বক্তব্যে সহমত জানালেন রুচি, ‘কেন প্রথম আলোতে প্রার্থীদের হলফনামা দেখিস নাই। সবাই মৎস্যজীবী। মাছ চাষ করে ধনী হয়েছে।’ |
সুর পাল্টালেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে গতকাল রোববার বললেন, ‘আমরা একতরফা নির্বাচন করতে চাই না। আমরা চাই সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে। বিরোধী দল সংসদে এসে আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রস্তাব দিতে পারে।’এর আগের দিন শনিবার যুবলীগের এক অনুষ্ঠানে নাসিম বলেছিলেন, বিএনপি না এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ একাই নির্বাচন করবে।গতকাল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, সংবিধান মানা সবার দায়িত্ব। এটা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ব্যাপার নয়। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থান নিয়ে কোনো সন্দেহ কিংবা সংশয়ের অবকাশ নেই। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৭তম জন্মদিন ও সাউথ-সাউথ পুরস্কার লাভের জন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দাবি করেন, বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ওপর দিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তাদের এই হুমকি নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা আদায়ের জন্য। গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।জন্ম আর্জেন্টিনার টানডিলে। উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। এ জন্যই টেনিস তারকা হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোর ডাকনাম ‘ডেলপো’, যার অর্থ টানডিলের সুউচ্চ দালান (টাওয়ার অব টানডিল)!কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষ এবং বিএনপি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের পৃথক গুলিবর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির নেতা জাকের হোসেন (৪২) নিহত হয়েছেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের নির্যাতনে স্থানীয় যুবদলের নেতা আবদুল হালিমের মৃত্যুর অভিযোগে গতকাল চকরিয়া পৌরসভায় এক প্রতিবাদ মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা যানবাহন ও দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর চালান এবং গুলিবর্ষণ করেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। আওয়ামী লীগও পাল্টা মিছিল ও গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে জাকের হোসেন মারা যান। তিনি চকরিয়া পৌর বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ছিলেন।এ ঘটনার পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও বানিয়ারছড়া এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করেন। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এ অবরোধে মহাসড়কের দুই দিকে প্রায় আড়াই শ যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও বিশেষ আনসার সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় বিএনপির কর্মীরা আটকে পড়া প্রায় ৪০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।এদিকে পুলিশের নির্যাতনে যুবদলের নেতা আবদুল হালিমের মৃত্যুর অভিযোগ এনে আগামীকাল রোববার কক্সবাজার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। আবদুল হালিম (৩৭) গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি হাসপাতালে মারা যান।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিমের লাশ নিয়ে গতকাল বেলা তিনটার দিকে চকরিয়া পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি থানা রাস্তার মাথায় গেলে কিছু কর্মী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশও লাঠিপেটা করে এবং ১০-১৫টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান। সেখানে তাঁরা বাস, চান্দের গাড়ি, টমটম, অটোরিকশাসহ ৫১টি যানবাহন ও ১০টি দোকান ভাঙচুর করেন। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে বিএনপির কর্মীরা কয়েকটি গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির ভাঙচুরের প্রতিবাদে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি মিছিল বের করেন এবং গুলিবর্ষণ করেন। এতে জাকের হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি মারা যান। চকরিয়া পৌরসভার নামারচিরিঙ্গা এলাকার মৃত আকবর আহমদের ছেলে জাকের হোসেন।চকরিয়া পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার দাবি করেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে জাকের হোসেন মারা গেছেন। তিনি পৌর বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য।তবে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামের দাবি, বিএনপির সন্ত্রাসীদের গুলিতেই জাকের হোসেন মারা গেছেন।চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত বড়ুয়া বলেন, জাকের হোসেন কাদের গুলিতে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।বিএনপি অভিযোগ করেছে, অবরোধের প্রথম দিনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বানিয়ারছড়া স্টেশন থেকে যুবদলের নেতা আবদুল হালিমকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে নির্যাতন করে পা ভেঙে দেওয়া হয়। ওই দিনই পুলিশ তাঁকে কারাগারে পাঠায়। পরদিন জামিনে মুক্তির পর আবদুল হালিমকে স্থানীয় মালুমঘাট খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তিনি মারা যান। এর প্রতিবাদে কাল হরতাল ডেকেছে বিএনপি।অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি রণজিত বড়ুয়া বলেন, ২৬ নভেম্বর দুপুরে আবদুল হালিমের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বানিয়ারছড়া এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আবদুল হালিম দৌড় দিয়ে পাহাড় থেকে খাদে পড়ে যান। এতে তাঁর ডান পা ভেঙে যায়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চকরিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২৮ নভেম্বর আদালত জামিন দিলে আবদুল হালিম কারাগার থেকে বের হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।গতিই তাঁর প্রথম এবং একমাত্র ভালোবাসা। গতির ঝড় তুলেই জয় করেছেন বিশ্ব। ফেরারির ড্রাইভিং সিটে বসে জিতেছেন রেকর্ড সাতবার ফর্মুলা ওয়ানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট। রেকর্ড ৯১টি প্রতিযোগিতায় জিতে ড্রাইভিং ইতিহাসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অন্য উচ্চতায়। শেষ পর্যন্ত সেই গতিই তাঁকে ঠেলে দিল জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। স্কি করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে মাইকেল শুমাখার হাসপাতালে। জার্মানির সাবেক ফর্মুলা ওয়ান তারকা হাসপাতালে অচেতন, লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।পরশু সকালে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতের পাদদেশে মেরিবেল রিসোর্টে শখ করে স্কি করতে গিয়েছিলেন। পাথরখণ্ডে ধাক্কা লাগায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন মাথায়। মস্তিষ্কে গুরুতর জখম হয়েছে। দুর্ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যেই পর্বত-পুলিশ হেলিকপ্টারে করে দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের গ্রেনোবলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। মেরিবেল রিসোর্টের পরিচালক ক্রিস্টোফ জেরনিগন-লেকোমতে জানান, স্কিয়িং করার সময় মাথায় হেলমেট পরা ছিলেন শুমাখার। তাঁর জ্ঞান ছিল এবং একটু কাঁপুনি হচ্ছিল। পরে তাঁকে অচেতন হয়ে পড়তে দেখে চিকিৎসকেরাই বলেন, ধারণার চেয়ে আঘাত বেশি গুরুতর। শুমাখারের জীবন আশঙ্কাজনক।৪৪ বছর বয়সী শুমাখারের জীবন বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। প্যারিস থেকে এসেছেন বিশেষজ্ঞ নিউরোসার্জন। তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে একবার।১৯৬৯ সালে জার্মানির কোলনে জন্ম। বাবা ছিলেন রাজমিস্ত্রি, মা কাজ করতেন ক্যানটিনে। বাবা মাঝেমধ্যে গো-কার্ট চালাতেন। বাবাকে দেখে শুমাখারেরও ছোটবেলায় চার চাকার ছোট্ট এই বাহনের প্রতি মোহ জন্মে। ১৯৮৭ সালে প্রথম জার্মান চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেশাদার রেসিংয়ের জীবন বেছে নেন। বেলজিয়ান গ্রাঁ প্রি দিয়ে ফর্মুলা ওয়ানে অভিষেক ১৯৯১ সালে। পরের বছর এই বেলজিয়ান গ্রাঁ প্রিতেই প্রথম শিরোপা। ১৯৯৬ সালে ফেরারির সঙ্গে জুটি বেঁধে উঁচু থেকে আরও উঁচুতে নিয়ে যান নিজেকে। ইতিহাসের দ্বিতীয় ড্রাইভার হিসেবে ৩০০ রেসে অংশ নেওয়া শুমাখারের সব অর্জনই বলতে গেলে ফেরারির হয়ে। যদিও শেষ দিকে বসেছিলেন মার্সিডিজের সিটে। কিন্তু তাতেও নিজের পুরোনো রূপ ফিরে না পাওয়ায় গত বছর ব্রাজিল গ্রাঁ প্রিতেই অবসর টানেন।ড্রাইভিংকে ‘বিদায়’ বললেও গতি আর ঝুঁকির নেশাটা কাটাতে পারেননি শুমাখার! এএফপি। |
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় গতকাল রোববার সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, যাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের অটোরিকশার চালক মহিন উদ্দিন (৪০), দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের কার্তিক কুমার দাস (৩৮) ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুরের মরণ চন্দ্র দাস (৩০)। আহত দুই ব্যক্তিকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, গতকাল ভোরে লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী মহাসড়কের চন্দ্রগঞ্জের বিসমিল্লাহ রোডে একটি অটোরিকশাকে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যান চাপা দেয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার চালক ও চার যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁদের নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংলাপের দিনক্ষণ ঠিক করতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি এ বিষয়ে আর উদ্যোগ নেবে না। ফলে সংলাপের মাধ্যমে সংকট কাটানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।তবে সংলাপ না হওয়ার দায় নিতে চায় না দলটি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে আবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতে সাড়া দেবে বিএনপি।তবে বর্তমান অবস্থায় সরকারকে চাপে ফেলতে রাজপথে আন্দোলন আরও জোরদার করতে চায় বিএনপি। পাশাপাশি কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টাও অব্যাহত রাখবে তারা। এর অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে টানা তিন দিন অবরোধ বা হরতাল ও পরের সপ্তাহেও এ ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ দুই নেত্রীর ফোনালাপের মাধ্যমেই শেষ হয়ে গেছে। এখন বিএনপিকে রাজপথে আন্দোলন জোরদার করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এতে পরবর্তী সময়ে একটি সমঝোতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।স্থায়ী কমিটির অন্য একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা নিজ থেকে সংলাপে যাচ্ছি না। আবার আলোচনার জন্য আমাদের যে শর্ত (নির্দলীয় সরকার) তাও সরকার মানবে না। এ অবস্থায় আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না।’তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে সরকার, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর ওপর। আমরা সংলাপের জন্য সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু সরকার একেক সময় একেক কথা বলছে। আমরা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এ নিয়ে সংলাপ চাই।’বিএনপি নিজ থেকে সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না—জানতে চাইলে এম কে আনোয়ার বলেন, ‘আমরা কীভাবে উদ্যোগ নেব? যেতে হবে তাদের বাড়িতে। তারা না বললে আমরা কীভাবে যাব?’ তিনি সরকারের নেওয়া সংলাপের উদ্যোগকে নাটক হিসেবে অভিহিত করেন।দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির গত মঙ্গলবারের বৈঠকে সংলাপকে ‘ডেড ইস্যু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও খালেদা জিয়া নিজে বিশেষ কোনো কথা বলেননি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে খালেদা জিয়া যে অবস্থান নিয়েছিলেন, স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগ সদস্য তার প্রশংসা করেছেন।স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন ও আমন্ত্রণ ছিল মূলত একটি ফাঁদ। সংবিধান সংশোধনের সময় যেভাবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে শেষ পর্যন্ত ‘প্রধানমন্ত্রীর নিজের’ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছিল, এবারও সে রকমই হবে। সর্বদলীয় সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিএনপির দাবি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়েছিল প্রথমে মহাসচিব পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক একটি আলোচনার মাধ্যমে দুই নেত্রীর আলোচনার স্থান, সময়, বিষয় ঠিক করা হবে। এ জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ‘কৌশলী’ ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীই বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানান।সে আমন্ত্রণে তাৎক্ষণিক সাড়া না দিলেও বিএনপি প্রথমে ভেবেছিল হরতাল কর্মসূচি শেষে প্রয়োজনে খালেদা জিয়া নিজে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে গণভবনে যাবেন। এ জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কূটনৈতিকভাবেও বিএনপি চেষ্টা করেছিল দুই পক্ষে কিছু ছাড় দিয়ে আলোচনায় বসার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাতে কোনো সফলতা আসেনি।বিএনপি এখন মনে করছে, সরকারকে নির্দলীয় সরকার নিয়ে আলোচনায় বসাতে হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন আর কূটনৈতিক চাপে ফেলতে হবে।স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সতর্ক করেছেন খালেদা: গত মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে তাঁর অনড় অবস্থানের কথা জানিয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, দলের কেউ কেউ রাষ্ট্রপতির অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। সেটি হবে না। কে, কী করছেন, না করছেন তা তিনি জানেন।বিএনপি থেকে সরকারের সঙ্গে সংলাপ নিয়ে ভূমিকা রাখতে দায়িত্ব দেওয়া আছে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। সংলাপ নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য তাঁকে খোঁচা দিয়ে বা কটাক্ষ করে বৈঠকে বক্তব্য দেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্তত দুজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, স্থায়ী কমিটির ওই সব সদস্যের কথায় মহাসচিবও ক্ষুব্ধ হন। এ পর্যায়ে তিনি সংলাপের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও বলেন। তবে এরপর আর এ নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি।শ্রমিক নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী জরুন এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের পোশাক কারখানায় তাণ্ডব চালিয়েছেন বহিরাগত শ্রমিকেরা। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন কারখানার নয়তলা ভবন, পণ্যবোঝাই ১৯টি কাভার্ড ভ্যানসহ কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় কারখানা ভবনে আগুন লাগিয়ে দেন স্ট্যান্ডার্ডের আশপাশের কয়েকটি সোয়েটার কারখানার শ্রমিকেরা। আগুন যাতে নেভানো না যায়, সে জন্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ এসে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। টানা ১৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট।তবে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময়ও কারখানার ওপরতলার পেছন দিকের স্টোরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগে ছুটি হয়ে যাওয়ায় আগুনে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, মাইকে শ্রমিক নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে দেওয়ায় শত শত শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন।স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক মো. নূর-ই আলম বলেন, পরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করতেই গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের উসকানি দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠানের ভবনের কঙ্কাল ছাড়া আর কিছুই নেই।কিছুদিন ধরেই জরুন এলাকায় তিতাস সোয়েটার লিমিটেড, আসিফ সোয়েটার, বেসটন ও ওয়াইকে সোয়েটার কারখানার শ্রমিকেরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে আসছিলেন। আন্দোলনের নামে ১৯ নভেম্বর ওই শ্রমিকেরা কুদ্দুস নগর কাঁচাবাজারে আগুন দেন। এতে প্রায় ৬০টির মতো দোকান পুড়ে যায়। পরদিন একই এলাকার একটি কলোনির ৫০টি ঘর পুড়িয়ে দেন শ্রমিকেরা।সোয়েটার কারখানার এই শ্রমিকেরাই গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্ট্যান্ডার্ড কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে আসার আহ্বান জানান। কিন্তু কারখানার শ্রমিকেরা বের হয়ে না আসায় বহিরাগতরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ তাদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেয়।কারখানার শ্রমিক ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত সাড়ে নয়টায় কারখানার ছুটি হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বহিরাগত শ্রমিকেরা আবারও জোট বেঁধে স্ট্যান্ডার্ডের কারখানার দিকে আসতে থাকে। কারখানার ভেতরে থাকা শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তারা শ্রমিকদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলিও ছোড়ে। এতে স্ট্যান্ডার্ড কারখানার অপারেটর রাশেদুল ইসলাম আহত হন। তাঁকে প্রথমে কারখানার চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।এরপর বহিরাগত শ্রমিকেরা স্ট্যান্ডার্ডের পাশের মসজিদের তালা ভেঙে মাইকে ঘোষণা দেয়, ‘পুলিশের গুলিতে দুজন শ্রমিক মারা গেছেন। শ্রমিক ভাইয়েরা সবাই এগিয়ে আসেন।’ বেশ কয়েকবার এমন ঘোষণা দেওয়ার পর আশপাশের কয়েক শ শ্রমিক বের হয়ে আসেন। তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কারখানার ২ নম্বর ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। শ্রমিকেরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় তখন আর শিল্প পুলিশ বাধা দেয়নি। কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করেন শ্রমিকেরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতেই কারখানার ১ নম্বর ভবনের সামনে থাকা পণ্যবোঝাই চারটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। পরে আগুন দেয় ভবনটির নিচতলায়। এরপর পাশে থাকা আরও সাত-আটটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দেওয়ার পর কারখানা চত্বরের দক্ষিণ পাশের ১ নম্বর ভবনে আগুন লাগিয়ে দেন উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকেরা।আগুনের খবর পেয়ে গাজীপুর ও কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট রাত সাড়ে ১২টায় কোনাবাড়ী এলাকা থেকে কারখানার রোডে যায়। কিন্তু শ্রমিকেরা রাস্তায় গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় আটকে যায় তারা। কোনাবাড়ী এলাকায় একটি পেট্রলপাম্পে অবস্থান নিয়ে অপেক্ষা করে ফায়ার সার্ভিস। পরে গাজীপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এলে তাদের সহযোগিতায় রাত দেড়টার দিকে দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় ঢাকার সদর দপ্তর, গাজীপুর, কালিয়াকৈর, সাভার, ইপিজেডসহ আশপাশের ১৪টি ইউনিট প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কারখানার নিরাপত্তাকর্মী আবদুল গনি দাবি করেন, বহিরাগত শ্রমিকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনার আগে কুদ্দুস নগর স্কুলের মাঠে হামলাকারীরা এক দফা বৈঠকও করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কারখানার শ্রমিকেরা এ ঘটনার সঙ্গে নেই। কারণ, বেতন-ভাতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই এখানে।’কারখানার পাশের মসজিদের ইমাম মুফতি শাকুর আহাম্মেদ জানান, বেশ কিছু লোক মসজিদের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে। তবে তিনি কাউকে চিনতে পারেননি।দাঁড়িয়ে আছে কারখানার কঙ্কাল: গতকাল সকালে গিয়ে দেখা যায়, দাউ দাউ করে জ্বলছে কারখানার নয়তলা ভবন। ভবনের নিচতলার গুদামের সব কাপড় পুড়ে ছাই। ওপরের আটতলার কয়েক হাজার সেলাইমেশিন পুড়ে শেষ। বিশাল কারখানা চত্বরে কেবল ধ্বংসের চিহ্ন। হামলাকারীদের হাত থেকে চত্বরের গাছগুলোও রেহাই পায়নি। ১৯টি কাভার্ড ভ্যানের স েহামলাকারীরা।স্ট্যান্ডার্ডের কর্মকতা ওয়ালিউল্লাহ শিপন বলেন, ভবনের প্রতিটি তলা ৭৫ হাজার বর্গফুটের। মেশিন ছিল প্রায় সাত হাজার। কাজ করেন ১২ হাজার শ্রমিক। কারখানা চত্বরের আরও দুই ভবনে কাজ করেন আরও ১০ হাজার শ্রমিক। শিপন জানান, স্ট্যান্ডার্ড গ্যাপ, ঈগল, ইউনিক্লো, এঅ্যান্ডইসহ বিশ্বখ্যাত প্রায় ৩৫টি ব্র্যান্ডের কাজ করে।ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা আগুনে পুড়ে ভবনের ট্যাম্পার লস হয়েছে। বড় বড় স্ল্যাব ধসে পড়ছে। এ কারণে কারখানা ভবনটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে।’অনিশ্চয়তার মুখে শ্রমিকেরা: আগুনে পুড়ে যাওয়ায় স্ট্যান্ডার্ডের ২২ হাজার শ্রমিকের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। কারখানার শ্রমিকদের বেতন গতকালই দেওয়ার কথা ছিল। কারখানার শ্রমিক আরিফ হোসেন বলেন, ‘মাস শেষ হওয়ার আগেই আমাদের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু এবার কী হবে জানি না।’আরেক শ্রমিক সোহেল রানা বলেন, ‘আমাদের কারখানার মালিক সব সময় আমাদের খোঁজ নিতেন। সব সুযোগ-সুবিধা দিতেন। বেতন নিয়ে কখনো ঝামেলা হতো না। এবারও মালিক বলেছিলেন, মজুরি বোর্ড ঘোষণা অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন দেবেন।’ এখন কী করবেন জিজ্ঞেস করলে চোখে পানি চলে আসে সোহেলের। চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘জানি না...।’গতকাল দুপুর থেকে দেখা যায়, অনেক শ্রমিক বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসযোগে জিনিসপত্র নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছেন। কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাইলে রঞ্জনা বেগম বললেন, ‘আগুনে কারখানা শেষ। কাজ নাই। তাই বাড়িতে চলে যাচ্ছি।’কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশারফ হোসেনের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।মালিক ও শ্রমিক নেতারা যা বলছেন: পরিকল্পিতভাবেই একটি চক্র স্ট্যান্ডার্ড কারখানায় আগুন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজিএমইএ সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা হচ্ছিল। কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তাঁর।শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, আগুনে স্ট্যান্ডার্ডের প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া পণ্যবোঝাই সব কটি কাভার্ড ভ্যান বৃহস্পতিবার রাতেই চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল।বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লিগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, জরুন এলাকায় তিন শ্রমিক সংগঠন এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। বেশ কিছু দিন ধরেই ভুঁইফোড় এই সংগঠনগুলোর নেতারা অনৈতিকভাবে শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন। দুই দিনের চেষ্টার পরও ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ পালন করতে না পেরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। নির্বাচন প্রতিহত করতে কাল ১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডেকেছে জোট। আজ সারা দেশে বিক্ষোভ করবে তারা। গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।এদিকে ঢাকায় গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গতকাল সারা দিন বাসায় ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। ফলে পর পর দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেল।রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং নগরবাসীকে অবরুদ্ধ করে গত রোববার প্রথম দিনের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ ব্যর্থ করে দেয় সরকার। এর প্রতিবাদে গতকালও একই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবস্থান কর্মসূচিও পালিত হয়নি। বিরোধী জোট কর্মসূচি ডেকে চুপ থাকলেও মারমুখী সরকারি দল পথে পথে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা গতকালও ঢাকার ভেতরে বাস-ট্রেন-লঞ্চ ঢুকতে দেননি। বিরোধী জোটের কর্মসূচির উদ্দেশ্যই ছিল রাজধানীসহ সারা দেশকে অচল করে দেওয়া। বিরোধী জোট তা না পারলেও সরকারি দল পেরেছে। পুলিশের সহায়তায় সরকারি দলের ব্যাপক তৎপরতার কারণে সারা দেশের জনজীবন স্থবির হয়ে গেছে। দেশের কোনো জেলা-উপজেলা থেকে কোনো যানবাহন ঢাকা অভিমুখে আসতে পারেনি। রাজধানীর ভেতরেও গণপরিবহন বন্ধ ছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।প্রথম দিনের অভিযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন থেকে নয়াপল্টনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার চেষ্টা করলেও গতকাল সেই চেষ্টা করেননি। পুলিশ-র্যাব তাঁর গুলশানের বাসভবন গত শনিবার রাত থেকে ঘিরে রেখেছে।গতকাল বিকেলে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে ওই বাসায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ ও রিয়াজ রহমানকে ঢুকতে দেয় পুলিশ। রাত পৌনে আটটার দিকে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শমসের মবিনকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে আটক হতে দেখে বাসার ভেতরে ঢুকে যান সাবিহউদ্দিন। এর আগে দুপুরের দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসায় যাওয়ার চেষ্টা করলে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাংসদ রাশেদা বেগম হীরা ও সাবেক সাংসদ হালিমা নেওয়াজকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সাত-আটজন সমর্থক নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে দেয়।সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে উত্তেজনা: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে দুপুরে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল ও জুতা ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টার দিকে বিএনপিপন্থী অর্ধশতাধিক আইনজীবী কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল করে প্রধান ফটকে উপস্থিত হন। সেখানে ঢুকে সরকারপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। রশি দিয়ে ফটকটি আগে থেকেই বন্ধ করে রাখা ছিল। ফটক ধরেই আইনজীবীরা বিক্ষোভ করছিলেন। ফটকের সামনে সড়ক ঘেঁষে ছিল পুলিশ। তখন সাবেক সাংসদ অপু উকিলসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে ফটকটির সামনের সড়ক দিয়ে মৎস্য ভবন-সংলগ্ন সড়ক হয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিল যুব মহিলা লীগের একটি মিছিল। মিছিলটি ফটক বরাবর সড়কে এলে কয়েকজন নেতা-কর্মী আইনজীবীদের লক্ষ্য করে জুতা প্রদর্শন করেন। এরপর আইনজীবীদের ভিড় থেকে নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কয়েকটি ইটের টুকরা ছুড়ে মারা হয়। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও জুতা ছোড়াছুড়ি।কয়েকটি ইটের টুকরা যাত্রীবাহী কয়েকটি যানবাহনে লাগে। মুহূর্তেই ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলে। পরে আইনজীবীরা কোর্টের ভেতরে চলে গেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে সরকারপন্থী একটি মিছিল এসে প্রধান ফটক খোলার চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।রোববার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ঢুকে আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল আইনজীবী সমিতি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী এ সময় বলেন, হামলার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি। তিনি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং গ্রেপ্তার হওয়া আরিফা মোমিনসহ সব আইনজীবীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দেশের প্রতিটি আদালতে কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত হয়।রাজপথে আওয়ামী লীগ: দ্বিতীয় দিনেও রাজপথে ছিল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। ভোর থেকেই রাজধানীর পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ডে জাতীয় পতাকা, লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে অবস্থান নেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। |
নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে সব ধরনের অপপ্রচারকে মোকাবিলা করতে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের সব উপজেলা, জেলা সদর ও রাজধানীতে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন সর্বস্তরের নারী-পুরুষ।মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আজ জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। মানববন্ধন কর্মসূচির সঙ্গে মন্ত্রণালয় দিবসটিও পালন করবে। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ এ কর্মসূচির কথা জানান।বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ২য় ওয়ানডে(সরাসরি, বেলা ১-৩০ মি., বিটিভি ও গাজী টিভি)লা লিগাগ্রানাডা-অ্যাটলেটিকো, ভিয়ারিয়াল-গেটাফে(সরাসরি, রাত ১টা, ইএসপিএন ও স্টার স্পোর্টস ২)অ্যাথলেটিক বিলবাও-এলচে, রিয়াল বেটিস-লেভান্তে(সরাসরি, রাত ৩টা, ইএসপিএন ও স্টার স্পোর্টস ২)সিরি ‘আ’রোমা-শিয়েভো(সরাসরি, রাত ১-৪৫ মি., স্টার স্পোর্টস)টেনিস: বিএনপি পারিবাস মাস্টার্স(সরাসরি, বেলা ৩-৩০ মি., টেন স্পোর্টস)মহিলা এশিয়া বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ(সরাসরি, দুপুর ১টা, ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টা, নিও প্রাইম)হরতাল-অবরোধসহ সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা থমকে গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী।পরীক্ষার এই মৌসুমে বারবার পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করেও দিশা পাচ্ছে না শিক্ষা প্রশাসন। ছুটির দিনেও নিতে হচ্ছে পরীক্ষা।রাজধানীর ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মা আসমা সুলতানা গতকাল শুক্রবার রাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। পরীক্ষার দিনে স্কুলে গিয়ে জানতে পারছি, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর অবসান চাই।’শিক্ষাবিদদের আশঙ্কা, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজেই শেষ হবে না। তাই পরীক্ষা বিঘ্ন হয় এমন কর্মসূচি আর না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে তিন কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আরও প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী। এখন চলছে পরীক্ষার মৌসুম। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষাও চলছে। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না। একই সঙ্গে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নিয়মিত ক্লাস।২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয় দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। আগের সময়সূচি অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিরোধী দলের অবরোধের কারণে দুই দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। এর মধ্যে গত বুধবারের পরীক্ষা গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনেও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা আজ শনিবার নির্ধারণ করা হলেও নতুন করে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের কারণে তা আগামী শুক্রবার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে ৪ নভেম্বর শুরু হয়ে সদ্য শেষ হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটের (জেএসসি) ১১টি বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে ছয়টিই পেছাতে হয়েছে।মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চলমান বার্ষিক পরীক্ষাও পিছিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক বিদ্যালয় আগে থেকে কোনো ঘোষণা না দেওয়ায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা পড়েছেন আরেক বিপাকে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে বলায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ঠিক সময়ে পরীক্ষা শেষ করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই সেশনজট বিদ্যমান। এর মধ্যে বারবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন আরও অভিশাপের মধ্যে পড়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন পরীক্ষা হরতাল-অবরোধে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।গতকাল অনুষ্ঠেয় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে রাজশাহী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাও পেছানো হয়। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ‘ফল সেমিস্টারের’ বিভিন্ন বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষার সময় পরে জানানো হবে।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে এই সংঘাত স্বল্পমেয়াদি হবে বলে মনে হয় না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে অন্তত পরীক্ষাগুলো এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে রাখার জন্য।’শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘মনে হচ্ছে, বিরোধী দল নতুন প্রজন্মের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠছে। তাদের প্রতি আবারও অনুরোধ, আপনারা শিক্ষার্থীদের প্রতি দয়াশীল হয়ে পরীক্ষার সময়ে এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকুন।’দলের জয় নিশ্চিত হতেই ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের আলিঙ্গনে তিনি। উইকেট থেকে ড্রেসিংরুমে ছুটে গিয়ে অধিনায়কও জড়িয়ে ধরলেন তাঁকে। টিভি পর্দায় ভেসে উঠল ভক্তদের প্ল্যাকার্ড, ‘গ্রেটেস্ট অব অলটাইম’, ‘কিং ক্যালিস।’ কিংসমিডের বড় পর্দা ধন্যবাদ জানাচ্ছে, ‘থ্যাংক ইউ জ্যাক ক্যালিস।’দলকে জিতিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেই ‘থ্যাংক ইউ’ জানিয়ে টুইট করেছেন গ্রায়েম স্মিথ। ধন্যবাদ দিয়ে টুইট করেছেন ডেল স্টেইন, এবি ডি ভিলিয়ার্সরা। শুধু ভার্চুয়াল জগতে নয়, ধন্যবাদ ছিল বুকেও! দল জিততেই বিশেষ এক সাদা টি-শার্ট গায়ে চাপালেন সবাই। যেটির বুকে হাত উঁচিয়ে ধরা ক্যালিসের ছবি, নিচে লেখা ‘থ্যাংক ইউ!’সতীর্থদের ‘স্পেশাল’ ধন্যবাদ জানালেন সবকিছুর মধ্যমণি নিজেও। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই সতীর্থদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘নিরাপদ পথে হেঁটে কোনো রকমে ড্র করার মানে নেই, জিততে হবে দাপটে।’ ডাকে সাড়া দিয়েছেন সতীর্থরা। মহানায়ককে উপহার দিয়েছেন বিদায়ী অর্ঘ্য। নিজের সেঞ্চুরি, দলের ম্যাচ আর সিরিজ জয়, র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান আরেকটু পোক্ত—জ্যাক ক্যালিসের বিদায়টা হলো রাজসিক। দেশের পতাকা হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করার সময় মুখের হাসিতে ফুটে উঠল যেন সেই তৃপ্তি। এই নিয়ে টানা ১৪ সিরিজে অপরাজেয় দক্ষিণ আফ্রিকা, সর্বশেষ ২৫ সিরিজে একমাত্র হার ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে থাকা ভারতের সঙ্গে ব্যবধান ১২ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১৬-তে। কে না জানে, এই সবকিছুতে বড় অবদান এই বিদায়ী নায়কের!শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচাতে ভারতের সবচেয়ে সহায় হতে পারত বৃষ্টি। পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল ৪০ শতাংশ। কিন্তু কাল সকাল থেকেই ঝকঝকে নীল আকাশ আর চকচকে রোদ। ভারতের সম্ভাবনা আরও ম্লান হয়ে গেল খেলা শুরুর মিনিট দশেকের মধ্যেই। দিনের প্রথম বলেই কটবিহাইন্ড বিরাট কোহলি, যদিও বল ব্যাটে ছুঁয়েছে কিনা সংশয় ছিল। নিজের পরের ওভারেই আরেকটি গোলায় স্টেইন ফেরান চেতেশ্বর পূজারাকে। পরে ইশান্তকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার (৬৯ টেস্টে) হিসেবে পেয়েছেন ৩৫০ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ভারত লিড পেয়েছে অজিঙ্কা রাহানের অসাধারণ এক ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে অপরাজিত রাহানে কালও পাননি যোগ্য সঙ্গ। শেষ পর্যন্ত মাইলফলক ছোঁয়ার আশায় তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে। ৫৮ রান তাড়া করে দলকে জেতাতে স্মিথ-পিটারসেনের লেগেছে মাত্র ৪৮ মিনিট।দেশের সর্বকালের সেরার বিদায়ে অবশ্য জয়টাই পড়ে গেল আড়ালে। চলল স্তুতির বন্যা। আর ক্যালিস নিজে বললেন, ‘এর চেয়ে ভালো বিদায় হতে পারত না।’ ওয়েবসাইট, টেন ক্রিকেট। |
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপনের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাঁদের বিরোধিতা অর্থহীন ও ভিত্তিহীন। এ বিরোধিতা মোটেই তথ্যনির্ভর নয় এবং ভুল দর্শনের ওপর দাঁড়িয়ে তাঁরা আন্দোলন করছেন।শিগগির এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বড় আকারের একটি বৈঠক করার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জানান, রামপালের পাশাপাশি নতুন করে আরও পাঁচটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।সচিবালয়ে গতকাল রোববার অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বামপন্থী দলগুলো এর বিরোধিতা করছে। ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা থেকে রামপালমুখী লংমার্চও করেছে।আগামী ২২ অক্টোবর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হওয়ার কথা। আন্দোলনকারীরা ১১ অক্টোবরের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।নিজেকে পরিবেশবাদী উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একটা জিনিস বোঝা উচিত, কয়লানির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাদের করতেই হবে, তা আনু মুহাম্মদ সাহেব যা-ই বলুন না কেন। কারণ, কয়লা সবচেয়ে সস্তা। আর আমরা সেটাই ব্যবহারের চেষ্টা করছি।’ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অর্থমন্ত্রী।পাঁচ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তাব অনুমোদিত: ক্রয় কমিটিতে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার আরও পাঁচটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। নির্মাণ, মালিকানা ও পরিচালনা (বিওও) পদ্ধতিতে এগুলো স্থাপিত হবে। এর মধ্যে তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে ওরিয়ন গ্রুপ, আর দুটি করবে এস আলম গ্রুপ।ধান নদী খাল—এই তিনে বরিশাল’ —একসময় বরিশালকে চেনাতে ব্যবহূত হতো এমন প্রবচন। কিন্তু সেই চিত্র বদলে গেছে। শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া খালগুলোর বেশির ভাগই অস্তিত্ব হারিয়েছে। কীর্তনখোলা নদীও দখল হচ্ছে।বরিশাল শহরে একসময় ১৮টি বড় খাল ছিল। বরিশালের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ভাটার খালে ভিড়েছিল কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বজরা। বজরায় অবস্থান করা বিশ্বকবিকে মুগ্ধ করেছিল বরিশালের রূপ। খাল-বিল-পুকুর-নদী পরিবেষ্টিত বরিশালের রূপে মুগ্ধ কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই নগরকে ‘বাংলার ভেনিস’ আখ্যায়িত করেছিলেন।বরিশালের খালগুলোর অন্যতম বটতলা খাল। শহরের বটতলা থেকে নবগ্রাম হয়ে ঝালকাঠি জেলার রায়পাশা-কড়াপুরে গিয়ে খালটি সুগন্ধা নদীতে মিশেছে। এলাকাবাসী জানান, আশির দশকের মাঝামাঝি সময়েও খালটিতে নৌকা চলত। কিন্তু বেশির ভাগ অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে এটি মরা খাল। নবগ্রাম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি স্থানে খালটির ওপর নির্মিত সরু কালভার্টের দুই পাশের বিরাট অংশ ভরাট হয়ে গেছে। পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খালে থাকা ময়লা-আবর্জনা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।নগরবাসী জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আহসান হাবিব বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে উন্নয়নের নামে খাল ভরাট শুরু হয়। সে সময় (১৯৯৮ সাল) তৎকালীন পৌরসভা বটতলা এলাকায় বটতলা খাল ভরাট করে দোকানপাট নির্মাণ করে। ২০০০ সালে বরিশাল পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে আহসান হাবিব কিছুদিন মেয়র ছিলেন। ওই সময় খালটির বটতলা থেকে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা পর্যন্ত অংশ ভরাট করা হয়। ২০০৩ সালে মজিবর রহমান সরোয়ার (বর্তমানে বরিশাল সদরের সাংসদ) মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর খালের নবগ্রাম থেকে বটতলা মার্কেট পর্যন্ত এলাকা ভরাট করা হয়। বটতলা খালের ওপর সড়ক নির্মাণ করা হয় সদ্য সাবেক মেয়র শওকত হোসেন মেয়র থাকাকালে।জানতে চাইলে সাবেক ও বর্তমান এই তিন মেয়রই বটতলা খাল ভরাটের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেন। আহসান হাবিব বলেন, বটতলা খাল এলাকায় নির্মিত দোকানপাটগুলো ছিল জেলা পরিষদের। এবার তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকারের অন্যতম ছিল খাল পুনরুদ্ধার ও খনন করা। তিনি তা করবেন।মজিবর রহমানের দাবি, তাঁর সময় বটতলা খাল ভরাট করা হয়নি, খালের পাড়ের ভরাট হওয়া অংশ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর শওকত হোসেন বলেন, তিনি যখন রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেন, তখন ওই এলাকায় খাল ছিল না। এর পরও তিনি রাস্তার নিচ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য নালা নির্মাণ করেছেন।বরিশালের নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, কাগজে-কলমে এখনো শহরে ১৮টি খালের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় সাতটির। এগুলো হলো জেল খাল, লাকুটিয়া খাল, আমানতগঞ্জ খাল, সাগরদী খাল, নবগ্রাম খাল, পুডিয়া খাল ও টিয়াখালী খাল। খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।বরিশালের আওয়ামী লীগের নেতা তরুণ চন্দ কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত লাকুটিয়া খালের বিপন্ন অবস্থা দেখে আসার পরামর্শ দেন। অক্টোবরের শুরুতে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের মড়কখোলা পুল থেকে মুখার্জির পুল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত লাকুটিয়া খাল মরণাপন্ন। খালের দুই পাড়েই দখলদারদের দৌরাত্ম্য। একই চিত্র জেল খাল, সাগরদী খাল ও আমানতগঞ্জ খালের। এসব খালের পাড় তো দখল হয়েছেই, কোথাও কোথাও দখলদারেরা ঢুকে পড়েছেন খালের ভেতরেও।অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে ভাটার খাল, চানমারী খাল, নাপিতখালীর খাল ও শোভারানীর খাল ভরাট করা হয়েছে।খালগুলোকে দখলদারমুক্ত করার আন্দোলনের ফলে ২০০৯ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে যৌথ জরিপকারীদের অনুসন্ধানে কীর্তনখোলা নদী থেকে নথুল্লাবাদ ব্রিজ হয়ে কুদঘাটা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত জেল খালের দুই কিলোমিটার এলাকায় ৮২ জন দখলদার চিহ্নিত করা হয়। সে সময় নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের মধ্যস্থতায় বরিশাল সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং বরিশাল সেচ প্রকল্প (বিআইপি) মিলিতভাবে নগরের খালের সীমানা নির্ধারণের জন্য জরিপ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছিল। উদ্যোগটি সেখানেই থেমে আছে বলে জানালেন কাজী এনায়েত হোসেন।দখল হচ্ছে নদী: বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ কবির জানান, ২০০৭ সালে শুধু বরিশাল নদীবন্দর এলাকায় জরিপ করে কীর্তনখোলা নদীতে ৩৭ জন দখলদারকে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযানও চালানো হয়েছিল। পরে নদীতীরের দখল হওয়া জায়গার একাংশে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। অন্য অংশ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গেছে।সরেজমিনে শহরের লঞ্চঘাটের বিপরীতে কীর্তনখোলায় জেগে ওঠা রসুলপুর চরকে কেন্দ্র করে নদী ভরাট ও দখলের ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৮০-এর দশকের দিকে জেগে ওঠা ওই চরের আয়তন ২৫ একর ২৩ শতাংশ। শুরুতে গৃহহীন কিছু মানুষ ওই চরে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, সেই দলের সমর্থনপুষ্ট ভূমিদস্যুরা চর দখল করে নদী ভরাট করে চরের আয়তন বাড়িয়েছেন।রসুলপুর চরের জমি দখল ও নদী ভরাট নিয়ে গত বছরের ২ মার্চ প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ৬ মার্চ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এ বিষয়ে রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নদী দখল করে মাটি ভরাট ও প্লট বরাদ্দ বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালত সিএস ও আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণে জেলা প্রশাসনকে কমিটির মাধ্যমে জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে তা আদালতে দাখিল করারও নির্দেশ দেন। তবে এখনো এ ব্যাপারে কার্যকর কিছু হয়নি।জানতে চাইলে বরিশালের জেলা প্রশাসক শহীদুল আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘তখন আমি এখানে ছিলাম না। তাই বিষয়টি আমার অজানা। বিষয়টি জেনে জানাব।’অক্টোবরের শুরুতে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের দপদপিয়ায় নদীতীরের খাসজমি দখল করে বালু ভরাট করা হচ্ছে। রূপাতলীতে অপসোনিনের সীমানাপ্রাচীরে আটকা পড়েছে কীর্তনখোলা তীরের প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকা। অপসোনিনের প্রকল্প কর্মকর্তা রফিকুর রহমান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কারখানায় নির্মাণকাজ চলছে বলে আপাতত লোক চলাচল বন্ধ রাখার জন্য এ প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে নদীর জায়গা থেকে সীমানাপ্রাচীর সরিয়ে নেওয়া হবে।আগামীকাল রোববার চট্টগ্রাম, দিনাজপুর; সিলেট জেলার তিন উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। বগুড়ায় ডাকা হয়েছে রোববার সকাল থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল। দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, কর্মী নিহত ও মিছিলে হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া র্যাব আটক করার পর নিখোঁজ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবিরকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আগামীকাল থেকে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় লাগাতার হরতাল ডাকা হয়েছে।চট্টগ্রাম নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সামনে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা গায়েবানা জানাজা থেকে হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনসহ স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে হরতাল দেওয়া হয়েছে।দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুর চৌধুরী গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, অবরোধের দ্বিতীয় দিন সরকারি কলেজ মোড়ে ১৮ দলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় হামলা চালায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এতে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান গুরুতর আহত হন। ওই হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশেও হামলা চালায় আওয়ামী লীগ। এতে ১৮ দলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এর প্রতিবাদে হরতাল ডাকা হয়েছে।বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা, যুবদলের নেতা ইউসুফ আলীকে গুলি করে হত্যা, বগুড়া শহর যুবদলের সভাপতি মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানির প্রতিবাদে বগুড়ায় ৩৬ ঘণ্টার হরতাল ডাকা হয়েছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, তারেক রহমানকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ রেখে বগুড়ায় কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।সিলেটে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে বিএনপির সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম আহত হওয়ায় তাঁর নির্বাচনী এলাকার (সিলেট-৪) তিন উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে স্থানীয় বিএনপি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সামসুদ্দীন জানান, হরতাল সফল করতে আজ শনিবার তিন উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল হবে।সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভার ঘোষগাঁতী মহল্লায় (৫ নম্বর ওয়ার্ড) নতুন পৌর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রতিবাদে নাগরিক কমিটি কাল পৌরসভায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে গতকাল পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ থেকে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়। সমাবেশে কমিটির আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন বলেন, ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সিরাজগঞ্জ আদালতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি আদালত নিষেধাজ্ঞার ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন। কিন্তু শুনানির আগেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা আইনসম্মত হয়নি।বিএনপির দুই নেতাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গতকাল বিকেলে লাকসাম ব্যাংক চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে স্থানীয় বিএনপি। সমাবেশে সাবেক সাংসদ আনোয়ারুল আজিম অভিযোগ করেন, গত বুধবার রাতে লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম এবং পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবিরকে র্যাব তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে ফিরিয়ে না দিলে রোববার থেকে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতাল চলবে।ওই রাতে র্যাব লাকসামে সাইফুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ১০ জনকে আটক করে। এই ১০ জনকে পরে লাকসাম থানায় হস্তান্তর করা হয়। সাইফুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবিরকে আটকের কথা র্যাব ও পুলিশের কেউ স্বীকার করছেন না। জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বলেন, বিএনপির দুই নেতাকে আটকের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। আর, র্যাব-১১-এর কুমিল্লার অধিনায়ক মো. শাহেদ হাসান বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। [প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য সরবরাহ করেছেন আমাদের চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ ও সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর অফিস, বগুড়া, ও গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি।]শেষ মুহূর্তে পাওয়া যায় পৃষ্ঠপোষক, কিন্তু ভিসা-জটিলতায় বিশ্ব যুব দাবায় খেলা নিয়েই সংশয়েই পড়ে যায় ফাহাদ রহমান। ঢাকা বিমানবন্দর পেরোলেও দুবাই বিমানবন্দরে আটকে পড়ে ফাহাদ ও তার বাবা নজরুল ইসলাম। ১২ ঘণ্টা পর আয়োজকেরা উদ্ধার করেন তাদের। টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ভিসা মেলে। এত প্রতিকূলতা পেরিয়েও যুব দাবায় রুপা জিতেছে ফরিদপুরের ১০ বছরের বালক।সংযুক্ত আরব আমিরাতে বহু প্রবাসী বাংলাদেশির বাস। আল আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মিলনায়তনে বিশ্ব যুব দাবার আয়োজন, সেখানকার ডিপার্টমেন্ট স্টোরে চাকরি করেন বাংলাদেশের ইসমাইল। জিতলেই তিনি ফাহাদকে দিতেন কিটক্যাট, জুস, চকলেট। শেষে দেশকেই বড় এক গৌরব উপহার দিয়েছে ফাহাদ, বিশ্ব যুব দাবার অনূর্ধ্ব-১০ গ্রুপের ব্লিৎজ বিভাগের রুপা। ফাহাদকে প্রতিদিনই উৎসাহ দিতেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। টুর্নামেন্টের শেষ দিনে ফাহাদের মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে দেন আল আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক উল্লাস। লাল-সবুজ পতাকা, একগাদা চকলেট আর রুপার পদকটা নিয়ে পরশু রাতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ফিদে মাস্টার।স্ট্যান্ডার্ড দাবায় ফাহাদ ১১ ম্যাচে সাড়ে ৮ পয়েন্ট পেয়ে পঞ্চম হয়েছে। ফাহাদের দাবি, ‘আমি তৃতীয়ই হয়েছি। প্রথম ম্যাচে ওয়াকওভার পেয়েছিলাম। কিন্তু তিনজনের সমান পয়েন্ট থাকলেও ওয়াকওভার পাওয়ায় আরবিট্রেটাররা আমাকে পঞ্চম বানিয়েছেন।’দ্রুতগতির ব্লিৎজে সাত ম্যাচের ছয়টি জিতে রানারআপ হয়েছে ফাহাদ। কিন্তু হতে পারত চ্যাম্পিয়ন, ‘ভেবেছিলাম চ্যাম্পিয়ন হব। কিন্তু তাড়াহুড়া করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ড্র করে বসি। আর একটা রাউন্ড খেলার সুযোগ পেলেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম।’ব্লিৎজে ফাহাদ হারিয়েছে ভারতের ফিদে মাস্টার রাম অরবিন্দকে। যাকে ভারতের খুদে কার্লসেন বলা হয়। তবে জার্মানির মার্কো দবরিকভকেই সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হয়েছে ফাহাদের কাছে।ফিদে মাস্টার ফাহাদের এখনকার চাওয়া দ্রুতই আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়া। মূল স্বপ্নটা অবশ্য এর চেয়েও বড়, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া, ‘আগামী এপ্রিলে বিশ্ব জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে চাই। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হলে সরাসরি গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব দেওয়া হয়। আমি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হতে চাই।’ |
কক্সবাজারের রামুতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বর্ষপূর্তিতে বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। গতকাল রোববার বিকেলে নগরের নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারের সামনে এ মানববন্ধনে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন অংশ নেয়।‘এক মুঠো বৌদ্ধ তরুণ’ নামে একটি সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার এক বছর পূর্তিতে নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে সমবেত প্রার্থনা ও প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।‘আর রামু নয়’ স্লোগান সামনে রেখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) ফরিদ উদ্দিন বলেন, কিছু স্বার্থন্বেষী মহল নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে প্রচেষ্টা চালায়। এটা কোনোভাবে কারও কাম্য নয়। এদের রুখে দাঁড়াতে হবে সম্মিলিতভাবে।’মানববন্ধনে বক্তব্য দেন প্রজ্ঞাবংশ মহাথের, নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারের উপাধ্যক্ষ প্রিয় রত্ন, মুদিত বংশ, সমন্বয়কারী বিপ্লব বড়ুয়া, কোটিল বড়ুয়া, প্রকৌশলী শাবু বড়ুয়া প্রমুখ। এদিকে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল রোববার জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের উদ্যোগে নগরের প্রেসক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের সভাপতি বাবু রঞ্জিত বড়ুয়া এতে সভাপতিত্ব করেন।তাঁরা যেন বোলিং মেশিনের মতো একের পর এক বল করে যাবেন। আর ব্যাটসম্যানরা সেসব বল ইচ্ছেমতো পেটাবেন, চার-ছয় মারবেন, সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি করবেন। নাগপুরের উইকেট কাল এতটাই অসহায় করে দিয়েছিল দুই দলের বোলারদের। কতটা অসহায় ছিলেন তার প্রমাণ—এক ম্যাচে চার সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে একবারই এমন কীর্তি দেখেছে, ১৯৯৮ সালে লাহোরে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে।ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ সেই উইকেটে তাই পাকা সাড়ে তিন শ রান করেও হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক জর্জ বেইলি আর শেন ওয়াটসনের জোড়া সেঞ্চুরির জবাবে ভারতের হয়ে পাল্টা সেঞ্চুরি হাঁকালেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। ৩৫০ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ম্যাচ জিতল ৬ উইকেটে, ৩ বল হাতে রেখে। সিরিজে ২-২ সমতা। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠেয় সপ্তম ও শেষ ওয়ানডেটা কার্যত রূপ নিল ফাইনালে।রান তাড়ায় ভারতের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনারই। রোহিত শর্মাকে নিয়ে ধাওয়ান গড়েছেন ১৭৮ রানের জুটি। ৩০তম ওভারে ব্যক্তিগত ৭৯ রানে রোহিত ফিরে গেলেও ধাওয়ান থেমেছেন সেঞ্চুরি করেই। তখনো জয় থেকে বেশ দূরে ভারত। তবে ৬৬ বলে অপরাজিত ১১৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন কোহলি।এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং পুরোটাই যেন বেইলি আর ওয়াটসনের তাণ্ডবের গল্প। মাত্র ৪৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে এ দুজনের ১৬৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ১০২ রান করে ওয়াটসন ৩৫তম ওভারে ফিরে গেলেও বেইলি রীতিমতো কাঁদিয়ে ছেড়েছেন ভারতীয় বোলারদের।১১৪ বলে ১৫৬ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে এ বছর এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পেরিয়েছেন ১ হাজার রানের মাইলফলক।তখন কি আর জানতেন এমন ইনিংস ব্যর্থ হয়ে যাবে ধাওয়ান-কোহলিদের দাপটে!সংক্ষিপ্ত স্কোরঅস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৫০/৬ (হিউজ ১৩, ফিঞ্চ ২০, ওয়াটসন ১০২, বেইলি ১৫৬, ভোজেস ৪৪*; ভুবনেশ্বর ১/৪২, সামি ১/৬৬, জাদেজা ২/৬৮, অশ্বিন ২/৬৪)। ভারত: ৪৯.৩ ওভারে ৩৫১/৪ (রোহিত ৭৯, ধাওয়ান ১০০, কোহলি ১১৫*, রায়না ১৬, ধোনি ২৫*; জনসন ২/৭২, ফকনার ১/৭৩, ফিঞ্চ ১/২০)। ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বিরাট কোহলি।ঢাকা কলেজে গতকাল শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফারুক নামের এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। তিনি ঢাকা কলেজের প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন ওই ছাত্রের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের নর্থ সাউথ হলে ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি ফুয়াদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসানের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ফারুকসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আরও কয়েকজন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, ফারুকের গলায় গুলি লেগেছিল।সাকিব হাসান দাবি করেন, তাঁর দুজন অতিথি ঢাকা কলেজের পাশে একটি মার্কেটের সামনে যান। সভাপতিপক্ষের নেতা ও ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক উজ্জল খান তাঁদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনতাই করেন। পরে এ দুজন এসে তাঁর কাছে বিচার দেন। তিনি তাঁর কয়েকজন কর্মীকে সাউথ হলে উজ্জল খানকে নিয়ে আসার জন্য পাঠান। ওই সময় উত্তেজিত হয়ে উজ্জল ও সভাপতি পক্ষের কর্মীরা গুলি করেন।তবে সভাপতি ফুয়াদ হাসান বলেন, সাধারণ সম্পাদকপক্ষের ওই কর্মীরা সাউথ হলে গিয়ে ওই কক্ষে ভাঙচুর করায় সংঘর্ষের সূচনা হয়। ছিনতাইয়ের বিষয়টি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।সড়ক, রেল ও নৌপথ বন্ধ। ফলে অবরুদ্ধ সারা দেশ। টানা চার দিন ধরে চলছে এই অবস্থা। ফলে বিপর্যস্ত জনজীবন। সারা দেশ অচল আর রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে এই অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি করেছে খোদ সরকার। এর আগে সপ্তাহের দু-এক দিন বাদ দিয়ে এক মাস বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ, নাশকতা-নৃশংসতা মানুষকে পর্যুদস্ত করে দিয়েছিল। সেই তাদের ঢাকামুখী ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ ঠেকাতে সরকারই সব অচল করে দিল। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্তও ঢাকায় কোনো ট্রেন আসেনি, ছেড়েও যায়নি কোনো ট্রেন। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার নৌ-যোগাযোগও ছিল বন্ধ। বন্ধ রাখা হয়েছে সড়ক যোগাযোগও। সরকার সব অবরুদ্ধ করলেও অফিস-আদালত খোলা ছিল। এ জন্য ঢাকাসহ সারা দেশের কর্মজীবী মানুষকে যানবাহন সংকটে নাকাল হতে হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত পুলিশি তল্লাশির ভয়। বিরোধী দলের দীর্ঘ অবরোধ থেকে ছাড়া পেয়ে যারা ছুটি নিয়ে ঢাকার বাইরে গেছেন বা ঢাকায় এসেছেন, তারা পড়েছেন বিড়ম্বনায়। চাকরি হারানোর শঙ্কার কথা জানিয়েছেন অনেকেই।কেরানীগঞ্জের আগানগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা ইস্রাফিল হায়দার বললেন, তিনি মিটফোর্ড হাসপাতালের অফিস সহকারী। গত দুই দিন অফিসে যেতে পারছেন না। গতকাল সকালে পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখানোর পরও ফিরিয়ে দিয়েছে পথ থেকে। রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় অফিস কামাই করা বিপজ্জনক, বড়কর্তার মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শগত সন্দেহের উদ্রেক হয়। আর অফিসে যেতে হলে ভোগান্তির পাশাপাশি জীবন বাজি রেখে চলতে হয়। গত চার দিনসহ গত কয়েকটা মাস এভাবেই কাটছে সাধারণ মানুষের।সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে ‘অবরোধ’ তুলে নেওয়ার নির্দেশনা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের নির্দেশে বন্ধ আর তাদের নির্দেশেই চালু করলে—বিরোধী দলের আচরণ কী হবে, সে বিষয়ে শঙ্কা কাজ করছে পরিবহন মালিকদের মধ্যে। ‘শাঁখের করাতে’ পড়েছেন বলে জানালেন পরিবহন মালিকেরা। বিরোধী দলের অবরোধের শেষের দিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অবরোধের মধ্যে পরিবহন মালিকদের বাস চালানোর জন্য চাপ দেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিরোধী দলের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ ঠেকাতে এবার সরকার পরিবহন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তাতে চার দিনের ‘কঠিন অবরোধে’ পড়ে সারা দেশ। দুর্ভেদ্য ঢাকা, দুঃসহ জনজীবন: গতকাল সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাব এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব চালক ফয়জুর রহমান বলেন, ভোরে বিনা বাধায় মিরপুর থেকে তিন যাত্রী নিয়ে টঙ্গী গিয়েছিলেন তিনি। আসার পথে টঙ্গী সেতুর কাছে পুলিশ যাত্রী নামিয়ে গাড়িও ঘুরিয়ে দেয়। এক ঘণ্টা পর খালি ট্যাক্সি নিয়েও ঢাকায় ঢুকতে পারেননি তিনি। তৃতীয়বার দুজন চিকিৎসক যাত্রীর সহায়তায় ঢাকার মহাখালীতে আসতে পারেন তিনি। গত শনিবার থেকে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশমুখ বুড়িগঙ্গা প্রথম ও দ্বিতীয় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল দূরে থাক মানুষের হাঁটার ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে সরকারি দলের নেতারা তিন স্তরের পাহারা বসান। ঢাকা-আরিচা পথে যান চলাচল বন্ধ রাখতে সাভার থেকে গাবতলী পর্যন্ত ১০টি স্থানে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের তৎপরতা দেখা যায়। ঢাকা-টাঙ্গাইল পথে গাজীপুর থেকে টঙ্গী সেতু পর্যন্ত র্যাব-পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ ছিল না। ঢাকা-কাঁচপুর প্রবেশপথও পথচারীদের জন্যই দুর্বোধ্য করে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিবহন তো দূরের কথা। সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকায় নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা দুটি বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যাত্রীদের মধ্যে যাঁদের কোনো পরিচয়পত্র ছিল না, তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়। এঁদের মধ্যে প্রিয়তোষ ও রফিকুল বলেন, তাঁরা ঠাটারীবাজারে মুদি দোকানে কাজ করেন। তাঁদের কাছে পরিচয়পত্র থাকার কথা নয়। টেলিফোনে মালিকের সঙ্গে কথা বলানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পুলিশ বলেছে, সময় নেই। মালিক আগেই বলে রেখেছেন, কাজে না এলে বেতন কাটা হবে। সারা দেশে নিশ্চল সড়ক: ঢাকার বাইরেও সেই একই অচলাবস্থা। দুলারী খাতুন রাজশাহী থেকে নিয়মিত বাসে বাঘা উপজেলায় গিয়ে স্কুল করেন। গতকাল সকালে গিয়ে বাস না পেয়ে রেলস্টেশনে যান। সেখানেও বিফল হন। গতকাল রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল বছরের সর্বনিম্ন, ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুলারীর এই ছোটাছুটির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে ছিল কনকনে ঠান্ডাও। তিনি বলেন, ‘এমন অদ্ভুত পথ চলার অভিজ্ঞতা আমার জীবনে আর হয়নি।’ পরে মুঠোফোনে দুলারী জানান, প্রথমে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পরে হিউম্যান হলারে, এরপর ভটভটিতে বাঘায় কর্মস্থলে পৌঁছান তিনি। রাজশাহী শহর থেকে উত্তরে নওগাঁ ও পশ্চিমের চাঁপাইনবাবগঞ্জের পথে বাস চলেছে গতকাল। কিন্তু ঢাকার পথে চলেনি। এমনকি ঢাকামুখী বলে রাজশাহীর দক্ষিণ-পূর্ব দিকের নাটোর, বগুড়া, রংপুর ও পাবনা, এমনকি রাজশাহীরই বাঘা, চারঘাটের পথের বাস চলতে দেয়নি পুলিশ। বাসের এই অদ্ভুত গতিবিধি দেখে হতভম্ব যাত্রীরা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করেন।চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার, তিন পার্বত্য জেলা, বৃহত্তর নোয়াখালীর পথে অল্প কিছু যানবাহন চললেও তা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি। চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এত দিন ছিল বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও আর এখন চলছে সরকারের গাড়ি রিকুইজিশন আতঙ্ক।’ খুলনা থেকে ঢাকার পথে কোনো যান চলেনি। মহানগর এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির টহলের মধ্যে কিছু ইজিবাইক-রিকশা চলেছে। নগরের বাসিন্দা কামরুল শেখ বলেন, সবার মধ্যেই কখন কি হয়—এমন একটা আতঙ্ক। জরুরি কাজ না থাকলে বের হতেন না তিনি। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে সাইমা খানম বলেন, অসুস্থ মাকে দেখতে পিরোজপুর যেতে চেয়েছিলেন। বাস না থাকায় ফিরে যাচ্ছেন। রূপসা-পিরোজপুর রুটের বাসচালক শফিকুল বলেন, ‘এক দিকি সরকার দল অন্য দিকি বিরোধী দল। গাড়ির সাথে জান (জীবন) হারানো ভয়।’বরিশাল বাস টার্মিনালে গতকাল সোহরাব হাওলাদার বলেন, ছুটিতে বাড়ি এসে আটকে গেছেন। ভাঙা পথে যাবেন যে সেই অবস্থাও নেই। বেসরকারি ছোট চাকরি, থাকবে কি না, এই শঙ্কায় পেরেশান তিনি।রংপুরে সরকার-সমর্থক পরিবহন শ্রমিক সংগঠন পুরো জেলাতে ধর্মঘট ডাকে গত শুক্রবার। সকালে সাজিন হোসেন স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় রওনা হন। প্রথমে অটোরিকশায় ওঠেন বগুড়ায় যাওয়ার উদ্দেশে। সাজিন বলেন, ‘বগুড়ায় যেতে ছয়বার অটো বদল করতে হবে। এরপর আরও কত কি কে জানে। অনিশ্চিত পথে যাত্রা শুরু করলাম।’ সিলেট নগরের চলাচল স্বাভাবিকই ছিল। তবে আতঙ্কের কারণে জনজীবন স্বাভাবিক হতে পারেনি। দূরপাল্লার বাস চলেনি। বিকেলে মানুষের চলাচল কিছুটা বেড়েছে। বন্দরবাজারের খুদে ব্যবসায়ী আজিজ মিয়া বলেন, ‘দুই দিন ধইর্যা বেচাকেনাও অইতাছে না।’রেল ও নৌপথ: গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি, আসেনি কোনো ট্রেন। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর ট্রেন চালানোর নির্দেশনা পেয়েছে। তবে ঢাকায় প্রান্তে চালানোর মতো ট্রেন ছিল একটিই, যমুনা এক্সপ্রেস। সেটি রাতে চালানোর কথা। কমলপুর-নারায়ণগঞ্জ পথেও রাতে একটি ট্রেন ছাড়ে। সারা দিন ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন না চললেও এলাকাভিত্তিক (লোকাল) কিছু ট্রেন চলাচল করেছে। জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ ও সিলেট থেকে আখাউড়া পথে সীমিত আকারে ট্রেন চলেছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ঢাকায় ১২২টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। শুক্রবারের পর থেকে সব ট্রেনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নদীতে ঢেউ তোলেনি লঞ্চ: গত শুক্রবার রাতেই বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকামুখী চারটি লঞ্চ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর আর বরিশাল থেকে লঞ্চ ছাড়েনি। শুক্রবার থেকে দক্ষিণের জেলা ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে লঞ্চ বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার লঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া রোকসানা বেগম গতকালও বরিশাল নৌ টার্মিনালে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে বেড়াতে এসে আটকে গেছেন। এখন ফেরা জরুরি। লঞ্চ ছাড়বে শুনে এসেছেন। রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতে বরিশাল থেকে লঞ্চ ছেড়েছে। |
অ্যান্ডি মারের ‘ব্যাটল অব সেক্স’-এর চ্যালেঞ্জটা সাদরে গ্রহণ করেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘মারের সঙ্গে খেলা! সত্যিই দারুণ মজার হবে।’ ‘মারে-সেরেনা’র কথিত সেই দ্বৈরথ এখনো আলোর মুখ দেখেনি। এরই মধ্যে মারের অন্য একটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন সেরেনার বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামস। সাতবারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী স্পষ্ট বলে দিলেন, তিন সেটের ম্যাচ খেলতে পারলে তাঁরা পাঁচ সেটের ম্যাচও খেলতে পারবেন।গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে এখন মেয়েরাও পুরুষদের সমান অর্থ পুরস্কার পান। কিন্তু পুরুষদের যেখানে ‘বেস্ট অব ফাইভ’ খেলতে হয়, সেখানে মেয়েরা খেলেন ‘বেস্ট অব থ্রি।’ কম দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলেও সমান সম্মানি, এটা কি বৈষম্য নয়? সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারে তাই বলেছেন, হয় পুরুষদের ম্যাচ তিন সেটে নামিয়ে আনা উচিত, নয়তো মেয়েদের পাঁচ সেট খেলা উচিত। তাহলেই সমান অর্থ পুরস্কারের ব্যাপারটা মেনে নেওয়া যাবে।দুই দিন আগে টোকিওর প্যান প্যাসিফিক ওপেনের সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া ভেনাস মারের চ্যালেঞ্জটাকে বাসি হতে দিলেন না, ‘অবশ্যই, এতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাদের বেস্ট অব থ্রি খেলতে হয়, আমরা বেস্ট অব থ্রি খেলি। যদি বেস্ট অব ফাইভ খেলতে হয়, ভালোই হবে।’ ভেনাসের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন টোকিওতে রানারআপ হওয়া জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কেরবারও, ‘আমি মনে করি, পাঁচ সেটের ম্যাচ খেলার জন্য আমরা ফিট এবং যথেষ্ট শক্তিশালী।’ তবে টোকিওতে কেরবারকে হারিয়ে শিরোপা জেতা চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভার এ নিয়ে রোমাঞ্চ একটু কম, ‘আমি জানি না, আমি পাঁচ সেটের ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত কি না। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৫০ খেলোয়াড় এখন খুবই ভালো। এ কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন প্রায় একই রকম। তবে আমার মনে হয়, পাঁচ সেটের ম্যাচ খেলতে হলে আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করার ক্ষমতা এবং আরও বেশি দৌড়াতে সক্ষম হতে হবে।’বিশ্ব মহিলা টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান স্টেসি অ্যালাস্টারও বললেন, তাঁর খেলোয়াড়েরা পাঁচ সেটের ম্যাচ খেলতে ‘তৈরি এবং ইচ্ছুক’। এএফপি।ক্রিকেটে নাটকীয় জয় কম নেই। তবে কাল শারজায় দক্ষিণ আফ্রিকার ১ রানের জয়টাকে নাটকীয় না বলে মহানাটকীয় বলাই ভালো।লক্ষ্য ১৮৪ রান। একপর্যায়ে ৪ উইকেটেই পাকিস্তান করে ফেলে ১৬৫ রান। জয়ের জন্য চাই ১৯ রান। হাতে ৬ উইকেট। এমন ম্যাচেও হেরে যাওয়া, একমাত্র পাকিস্তানের পক্ষেই বুঝি সম্ভব!মুহূর্তের একটা ঝড়। তাতে ১৭ রানের মধ্যে ৬ উইকেটের পতন। ৪ উইকেটে ১৬৫ থেকে পাকিস্তান অলআউট ১৮২ রানে। তিন উইকেট নিয়ে ওই ঝড়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এক পাকিস্তানিই—ইমরান তাহির। আসল নাটকটা জমে ওঠে পাকিস্তানের শেষ উইকেট জুটিতে। দরকার ৭ রান। উইকেটে ইরফান-আজমল। উত্তেজনাকর ওই মুহূর্তে ইরফানের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে ব্যর্থ হয়ে তাহির নিলেন রেফারেল। পাকিস্তান সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে মরকেলের বল এলেমেলো করে দিল ইরফানের স্ট্যাম্প। হারা ম্যাচে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার।এর আগে পেস-স্পিনের যুগলবন্দীতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৩ রানে বেঁধে ফেলে পাকিস্তান। পারনেল করেন সর্বোচ্চ ৫৬ রান। আজমল ৪টি ও আফ্রিদি নেন ৩ উইকেট। তথ্যসূত্র: ক্রিকইনফো।সন্ধ্যার পরই বিশিষ্ট নাগরিকদের পদচারণ, গল্প আর আড্ডায় মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। প্রথম আলোর ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অ্যাসোর্ট ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত সুধী সমাবেশটি যেন পরিণত হয় মিলনমেলায়।প্রথম আলো রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফুল হকের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর আশা আছে শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থিত সুধীদের দেখানো হয়। এর আগে অতিথিদের স্বাগত জানান প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক।সুধী সমাবেশে প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও রংপুর সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মলয় কিশোর ভট্টাচার্য বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, প্রথম আলো শুধু খবরই দেয় না, দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। দেশকে জাগিয়ে তুলতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে প্রথম আলো।আনিসুল হক বলেন, আজকের কৃতী শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এ দেশকে নতুন করে সাজাবে, জাগিয়ে তুলবে। তারাই ২০ বছর পর এ দেশকে পাল্টে ফেলবে। তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সম্ভাবনা। এই শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে। তিনি বলেন, ‘এই রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ থেকে বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের জন্য কাজ করেছেন। এই রংপুর নূরলদীনের রংপুর। আমাদের এই দেশ এগিয়েগেছে। আরও এগিয়ে যাবে। সবাইকে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখে এ দেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। প্রথম আলো প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নির্মিত তিনটি বিজ্ঞাপনচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও’ পরিবেশনার মাধ্যমে প্রথম আলোর নানা কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হাফিজুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার মুহামঞ্চদ দিলোয়ার বখত, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নারায়ণ চন্দ্র বর্মা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, প্যানেল মেয়র গোলাম কবির, সিটি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সাফিউর রহমান ও তুষার কান্তি মণ্ডল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন, রংপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. জুননুন, রোটারি ক্লাবের সভাপতি ইয়াসমীন আরা, মহিলা পরিষদের হাসনা চৌধুরী, নারী সংগঠক মোশফেকা রাজ্জাক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রথীশ চন্দ্র ভৌমিক, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রউফ, শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল কর্মকর্তা আরিফউজ্জামান, সাহিত্যিক অধ্যাপক আলীম উদ্দীন, চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ আলী, রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেনসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।সুনসান বিসিবিতে হঠাৎই উত্তেজনা। বিএনপির পক্ষ থেকে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে কে যেন আসবেন মিরপুরের ক্রিকেট বোর্ড কার্যালয়ে। একটু পর যিনি এলেন, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ম্যানেজার ও বিসিবির তত্ত্বাবধায়ক কমিটির সাবেক উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খান।আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা দল। এর পরপরই এশিয়া কাপ এবং ১৬ মার্চ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বর্তমানের ধারায় বিরোধী দলের আন্দোলন তখনো চললে ক্রিকেটকে তার বাইরে দেখতে চায় বিসিবি। এ জন্য বিরোধী দলের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগেরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।সে রকমই এক মাধ্যম প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এম এ লতিফ খান। কাল ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীসহ বিসিবির আরও দু-একজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেও স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি তিনি। ‘আমরা সব সময় খেলাকে রাজনীতি থেকে ওপরে রেখেছি’ বললেও শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ক্রিকেটকে রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হবে কি না জানতে চাইলে বলেছেন, ‘এটা নির্ভর করবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ওপর।’ একটু পর আরেক প্রশ্নের জবাবে অবশ্য বলেছেন, ‘আমি যত দূর জানি দেশের স্বার্থে ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) সবকিছু করতে রাজি থাকবেন।’এম এ লতিফ জানিয়েছেন, গত নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময়ও তাঁর মাধ্যমেই ক্রিকেটকে হরতালমুক্ত রাখতে পেরেছিল বিসিবি। কিন্তু কাল সকালে বিসিবির অনুরোধ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গেলেও ঢুকতে পারেননি তাঁর গুলশানের বাসভবনে। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে তাঁর, ‘জেনারেল মাহবুবের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছি। উনি আমাকে বললেন, “আমরা খেলাকে সবকিছুর ওপরে রাখতে চাই।”’ বিসিবি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে খালেদা জিয়া দেখাকরবেন কি না এমন প্রশ্নে লতিফ বলেছেন, ‘ওনার বাসার সামনে থেকে আগে প্রতিবন্ধকতাগুলো ওঠান। একটা পরিবেশ সৃষ্টি করুন ম্যাডামের কাছে যাওয়ার জন্য।’ একটি সূত্রে জানা গেছে, কাল বিকেলে আরও একবার গুলশানে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন লতিফ।বিসিবি অবশ্য এখন পর্যন্ত খুবই আশাবাদী যে ক্রিকেট সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে থাকবে। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী যেমন বললেন, ‘অতীতেও এ ধরনের ঘোষণা এসেছে। আমরা আশা করছি শিগগিরই এ ধরনের ঘোষণা আবারও আসবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে।’সে লক্ষ্যে আজ এশিয়া কাপের চূড়ান্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পাঠানো হবে এসিসিকে। এর আগে কাল আইসিসিকেও পাঠানো হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিরাপত্তা পরিকল্পনার প্রাথমিক ছক। বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘এর ওপর আইসিসির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকলে তারা সেটা দেবেন। পরে সরকারের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বসে সে অনুযায়ী সবাইকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করব আমরা।’ |
স্বাধীন গবেষণার মাধ্যমে জিন বদলে উৎপাদিত (বিটি) বেগুন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কি না, তা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে না ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রমের নির্বাহী পরিচালক সাকিউল মিল্লাত রিটটি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম।এদিকে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গতকাল বাংলাদেশে বিটি বেগুন বাজারজাতকরণের সব উদ্যোগ অবিলম্বে স্থগিত রাখা, বিদেশি কোম্পানির কাছে স্থানীয় জাতের বেগুন হস্তান্তরের আইনি ভিত্তি ও ওই বেগুনের মেধাস্বত্ব কার অনুকূলে যাবে, তা জানানোর জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। এতে বিটি বেগুনের মাঠপর্যায়ে সম্পাদিত সব পরীক্ষার পূর্ণ ফলাফল জনসমক্ষে প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কৃষি, পরিবেশ ও বন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিএসটিআই বরাবরে ওই নোটিশ পাঠানো হয়।বাবা দিনমজুর, বড় ভাই রাজমিস্ত্রি। সম্পত্তি বলতে ছয় শতকের বসতভিটা, তা-ও আবার মহাজনের কাছে বন্ধক। এমন এক পরিবারের সন্তান মোমিনুল হক এবার মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।মোমিনুলের সাফল্যে পরিবারের সবাই আনন্দে আত্মহারা। হাতে টাকা না থাকায় এলাকার লোকজনের চাঁদায় মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারলেও পড়ালেখা চালানোর খরচ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের দিনমজুর পরিবারের সন্তান মাহবুব আলম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও পড়াশোনা চালাবেন কীভাবে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের স্কুলপাড়ার বাসিন্দা আবুল কাশেমের তিন ছেলের মধ্যে মোমিনুল মেজো। মোমিনুলের এক ভাই দিনমজুর, আরেকজন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে। এ বছর মোমিনুল রংপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। অবশেষে এলাকার লোকজনের সহায়তায় ভর্তি হতে পেরেছেন।মোমিনুল বলেন, ‘অনেকের সহযোগিতায় মেডিকেলে ভর্তি তো হয়েছি, কিন্তু পড়ার খরচ চলবে কীভাবে, এ কথা ভেবে বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আমি তাঁদের বলেছি, নিজে পড়ার খরচ জুগিয়ে নেব ঠিকই। যদিও জানি পড়ালেখা করে এ কাজটা করা বড়ই কষ্টকর।’কাশেম জানালেন, তাঁর সম্পত্তি বলতে আছে ছয় শতকের এক টুকরো বসতভিটা। তা-ও আবার ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে মহাজনের কাছে বন্ধক দেওয়া আছে। দিনমজুরি করে যেটুকু আয় হয়, তা দিয়ে অভাবের সংসার কোনোমতে চলে যায়।মোমিনুলের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘অভাবের কারণে মোমিনুল কত দিন না খেয়ে স্কুলে গেছে ঠিক নেই। ওকে ডাক্তারি পাস করাতে পারলে আমাদের জীবন ধন্য হয়ে যাবে।’মোমিনুল পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন।ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মাহবুবের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জের দত্তপাড়া গ্রামের অত্যন্ত গরিব পরিবারের সন্তান মাহবুব। তাঁর দিনমজুর বাবা আলী হোসেন নানা রোগে আক্রান্ত। মা ফাতেমা আক্তার চার ছেলের পড়ালেখা আর সংসার চালাতে সেলাইয়ের কাজ করেন। মাহবুব নিজেও দিনমজুরি করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন।মাহবুবের বাবা বলেন, ‘নিজে সারা বছর নানা রোগে ভুগি। তাই অনেক স্বপ্ন দেহি, পোলাডা ডাক্তার অইবো; আমার রোগবালাই সব বালা কইর্যা দিব। দেশের বেবাক মানুষেরে বালা করব। কিন্তু পোলারে ডাক্তারি পড়ানোর খরচ অহন জোগাইয়াম কিবায়।’মাহবুব আলম বলেন, ‘বহু কষ্টে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু সেই আনন্দের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।’১৫৭-৩৬=১৫! চমকাবেন না, অঙ্কের হিসাবে এই বিয়োগফল ভুল হলেও ঢাকা লিগের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় একদমই সঠিক! শেষ ম্যাচের আগে ইমরুল কায়েসের চেয়ে অনেকটাই পেছনে ছিলেন রবি বোপারা। কিন্তু কাল শেষ দিনে ১৫৭ করে বোপারা উঠে গেলেন শীর্ষে, ৩৬ রান করে ইংলিশ ব্যাটসম্যানের ১৫ রান পেছনে ইমরুল। শুরুর দিকে বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও শেষ দিকে টানা দুর্দান্ত কয়েকটি ইনিংসে মুশফিকুর রহিম উঠে এসেছেন তিনে। ২০০৮ ও ২০১০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা ওপেনার সৈকত আলী পুরো লিগেই ছিলেন ধারাবাহিক। হ্যামিল্টন মাসাকদাজাও তা-ই। সেরা পাঁচে দুজন বিদেশি, তবে তালিকায় পরের নয়টি নামই বাংলাদেশের। তাঁদের মধ্যে রকিবুল হাসান (৫৫১), জুনায়েদ সিদ্দিকের (৪৯৯) মতো জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকারা যেমন আছেন, আছেন তাইবুর রহমান (৫১৯), মোসাদ্দেক হোসেন (৪৩৫), মেহেদি মারুফের (৪১৭) মতো তরুণেরা। আবার পথ হারানোদের প্রেরণা হতে পারেন নাফিস ইকবাল (৪৩০)।মূল চমকটা অবশ্য বোলিংয়ে। সেরা পাঁচে প্রত্যাশিতভাবে তিনজনই বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু সেখানে দুজন পেসারও থাকবেন, লিগ শুরুর আগে কেই-বা ভাবতে পেরেছিল! ফরহাদ রেজা তো আরাফাত সানির সঙ্গে শীর্ষ উইকেটশিকারিই হয়েছেন যুগ্মভাবে। উইকেটসংখ্যায় রুবেল হোসেন চারে থাকলেও যেমন বোলিং করেছেন, তাতে লিগের সেরা বোলার বলা যায় তাঁকেই। বোলিংয়ের ছয়েও আছেন আরেক পেসার, আল আমিন হোসেন (২০)। আর ওয়ানডেতে অপাঙেক্তয় এনামুল হক জুনিয়র জানিয়ে রাখলেন ফেরার দাবি।আজ মধ্যরাতে যখন ঘড়ির দুটো কাঁটা একত্র হবে, তার পরের মুহূর্তটিই জন্ম দেবে এক নতুন বছর। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির ২০১৩-এর বদলে ২০১৪ কে বরণ করে নেবে পৃথিবীবাসী। কবি শামসুর রাহমানের কবিতায় পাই, ‘আমরা যখন ঘড়ির দুটো কাঁটার মতো/ মিলি রাতের গভীর যামে/ তখন জানি ইতিহাসের ঘুরছে চাকা/ পড়ছে বোমা ভিয়েতনামে।’ এই কবিতাটিকে একটু বদলে বলা যায়, তখন হয়তো পেট্রলবোমায় পোড়া মানুষগুলো কাতরাচ্ছেন বার্ন ইউনিটে, ককটেলে উড়ে যাওয়া চোখ দিয়ে জল গড়ছে কোনো শিশুর, এই বাংলাদেশে। ২০১৩-এর মতো মৃত্যুদীর্ণ, আগুনে পোড়া, বোমায় ধ্বস্ত, শোকাতুর, লন্ডভন্ড বছর স্বাধীন বাংলাদেশে আর এসেছে কি না, সন্দেহ। ১৩-কে কেউ কেউ মনে করেন দুর্ভাগ্যের প্রতীক, বাংলাদেশে ২০১৩ সত্যিই সুখবরের চেয়ে দুঃসংবাদের জন্ম দিয়েছে বেশি। ৭ অনেক সমাজে সৌভাগ্যের সংখ্যা বলে গণ্য, ১৪ হলো ৭-এর গুণিতক, সেদিক থেকে আমরা নতুন আশায় বুক বাঁধব, ২০১৩-এর বাকি প্রহরগুলো ভালোয়-ভালোয় চলে যাক, দ্রুত, আমাদের জন্য সৌভাগ্যের পসরা নিয়ে আসুক ২০১৪। রানা প্লাজা দুর্ঘটনা থেকে মৌলবাদী গোষ্ঠীর নাশকতা, প্রলয়ংকরী তাণ্ডব, রাজনৈতিক সহিংসতা, পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজার ১২৮ জন, এক হিসাবে প্রকাশ। দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন বিবদমান দুই জোটের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে। হরতাল-অবরোধে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত, অফিস-আদালত, কাজকর্ম, লেখাপড়া, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাত্মকভাবে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে যোগাযোগব্যবস্থা ছিল বিপর্যস্ত। লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি কাগজে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা মারা যাচ্ছি; কারণ দেশের এই পরিস্থিতিতে কোনো অনুষ্ঠানও হতে পারছে না।’ একই অবস্থা প্রায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষেরই।অথচ কী সুন্দরভাবেই না এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ব্যক্তি মানুষের নিজের চেষ্টায় কিংবা সরকার, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, বেসরকারি সংগঠন, প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান, আর কৃষক-শ্রমিক সাধারণ মানুষের নানামুখী তৎপরতায় ‘ইমার্জিং টাইগার’ বাংলাদেশের এগিয়ে চলার তারিফ করছিল পৃথিবী। শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিল, গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে তরুণদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর তৈরির একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আর মৌলবাদী অপপ্রচারের কারণে তা কেবল সম্ভাবনার ঝিলিকমাত্রই হয়ে রইল। মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় হতে শুরু করেছে, একজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরও হয়েছে, তবে মৌলবাদী চক্রের সহিংস প্রতিক্রিয়া দেশের মানুষকে স্বস্তি পেতে দেয়নি। ২০১৩ দুই জোটের বিবাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে তছনছ করেছে, ২০১৪ শান্তি আনুক। আপাতত তার কোনো সম্ভাবনাও নেই। কারণ, আসন্ন একতরফা নির্বাচন সমস্যার কোনো সমাধান নয়। সমাধানে পৌঁছাতে হলে যে মতৈক্য লাগবে, তাতে পৌঁছানোর জন্য উভয় পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে, আজ পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণ নেই। তবু সূর্য উঠবে। লাঙল কাঁধে কিংবা পাওয়ার টিলার নিয়ে কৃষক খেতে যাবেন এবং এবার ফসলের দাম পাননি বলেই তিনি ২০১৪-তে চাষ করবেন না, তা নয়। কাজ করে যাবেন শ্রমিক, পেশাজীবী, প্রবাসী, সব পেশার মানুষ। সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই আবারও আলোকিত কর্মমুখর দিন ফিরে আসবে সামনের বছরে, নিশ্চয়ই। শামসুর রাহমানের ভাষাতেই বলতে হবে, ঘাতক তুমি সরে দাঁড়াও, এবার আমি লাশ নেব না... জীবন থেকে সোনার মেডেল শিউলিফোটা সকাল নেব। ২০১৪ বাংলাদেশে এনে দিক শিউলিফোটা সকাল। |
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগের নেতা মো. নুরুল ইসলাম গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।রামগতির বালুরচর ওয়াপদা বাজার এলাকায় গত শুক্রবার ওই সংঘর্ষ হয়।আওয়ামী লীগের চর আলেকজান্ডার ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হাওলাদার জানান, নিহত নুরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সহসভাপতি ছিলেন।এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বারবার সময় বাড়িয়ে ফুটবলারদের দলবদল কার্যক্রমকে হাস্যকর করে তুলেছে বাফুফে ও ক্লাবগুলো। সর্বশেষ গতকাল জরুরি সভায় বসে দলবদলের তারিখ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে লিগ কমিটি। আগের সূচি অনুযায়ী দলবদল শেষ হওয়ার কথা ছিল আজই।দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কারণ দেখিয়ে আটটি ক্লাব দলবদলের সময় আরও বাড়াতে চিঠি দিয়েছিল বাফুফেকে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই দলবদল আরও একবার পেছানো হলো। ৪ নভেম্বর ফেডারেশন কাপ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেটি শুরু হবে ২০ নভেম্বর।লিগ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তাঁর কথা, ‘ক্লাবগুলোকে বলেছি, দলবদল হয় এখনই করুন, নইলে জাতীয় নির্বাচনের পর। তারা নভেম্বরেই করতে রাজি হয়েছে।’কালকের সভায় খেলোয়াড়দের মাসিক বেতনপদ্ধতি অনুযায়ী টাকা দেওয়ার নিয়মটাকে কঠোর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পেশাদার ফুটবল মানে খেলোয়াড়দের মাসিক বেতনপদ্ধতি। এটা বাফুফের কেতাবে থাকলেও কাজে নেই। ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনেক আগেই প্রায় পুরো টাকা দিয়ে ফেলে আর খেলোয়াড়দের অনেকে দুই ক্লাব থেকে টাকা নিয়ে একটা নাটক সাজান প্রতিবছরই।এমন অবস্থায় আগামী মৌসুম থেকে ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের চুক্তির ১০ শতাংশ টাকার বেশি অগ্রিম দিতে পারবে না, বাকি টাকা প্রতি মাসে বেতনপদ্ধতিতে দিতে হবে। টাকা নেওয়ার ভাউচারে বাফুফের একজন প্রতিনিধির স্বাক্ষর রাখার নিয়মও রাখা হয়েছে। ক্লাব খেলোয়াড়দের বেতন না দিলে বাফুফে তা নিজ তহবিল থেকে দেবে। পরে ওই বেতনের টাকা সমন্বয় করা হবে ক্লাবগুলোকে দেওয়া বাফুফের অনুদান থেকে।হেমন্তের সন্ধ্যা। একে একে আসছেন অতিথিরা। সাংসদ, রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, লেখক-শিল্পী-সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, ডিজাইনারসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সমাগমে ভরে ওঠে শহরের পাঁচলাইশ এলাকার কমিউনিটি সেন্টারটি। প্রথম আলোর ১৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে আয়োজিত সুধী সমাবেশটি পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে পরিণত হয় মিলনমেলায়। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। সূচনা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। এরপর দেখানো হয় প্রথম আলোর বর্ষপূর্তি আয়োজনে এবারের মূল ভাবনা ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’-এর ওপর নির্মিত আশা আছে শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র। এরপর মঞ্চে আসেন চট্টগ্রামের প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও বেসরকারি ইস্ট-ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ সিকান্দর খান। তিনি বলেন, ‘বিষয়বৈচিত্র্যে প্রথম আলো এ দেশের প্রথম পত্রিকা, যে চমক দিতে পেরেছিল। এ দেশে সংবাদের ধারণা এবং ধরন বদলে দিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে প্রথম আলো।’ অতিথিদের সম্ভাষণ জানিয়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে ভালো থাকি। আমরা চাই, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ ভালো থাকুক।’ তিনি বলেন, ‘গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমশ সহিংস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সরকারের চার বছর পর পাঁচ বছর যখন শুরু হয়, তখন হরতাল, অবরোধ, সহিংসতায় যেভাবে মানুষের মৃত্যু হতে থাকে, তা আমাদের প্রচণ্ড ব্যথিত করে। আর এসব খবর আমরা পত্রিকায় ছাপি, যা আমাদের গভীরভাবে হতাশ করে। এসব কিছুর পরও আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি। দেশে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে, সব সমস্যা কেটে যাবে।’ সমাপনী রবীন্দ্রসংগীত ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও’-এর মধ্য দিয়ে পর্দায় তুলে ধরা হয় প্রথম আলোর নানা সামাজিক কার্যক্রম। শেষে আনন্দঘন একটি সন্ধ্যার স্মৃতিকে ধারণ করে ঘরে ফিরে যান অতিথিরা। অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেমন আরা তৈয়ব, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ইফতেখার সাইমুম চৌধুরী, কমরেড শাহ আলম, জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান, মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম, সচিব রশিদ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহিদুর রহমান, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মুসলিম, দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, জেলার রফিকুল কাদের, অতিরিক্ত কর কমিশনার আবু দাউদ, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি চন্দন দাশ ও সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন, জেলা পিপি আবুল হাশেম, সুজন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবীর চৌধুরী, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর চৌধুরী, কলামিস্ট অধ্যাপক ইয়াহ্-ইয়া আখতার, অধ্যাপক ভূঁইয়া ইকবাল, অধ্যাপক লায়লা জামান, অধ্যাপক মাহবুবুক হক, শিল্পী আবুল মনসুর, ঢালী আল মামুন, দিলারা বেগম জলি, খালিদ আহসান, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া, কণ্ঠশিল্পী আবদুল মান্নান রানা, ডিজাইনারস ফোরামের উপদেষ্টা রওশন আরা, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, সার্ক চেম্বারের পরিচালক এস এম নুরুল হক, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি আইভি হাসান, ব্যবসায়ী সৈয়দ ছগির আহমেদ, এম এম কামাল পাশাসহ আরও অনেকে।বিএনপির ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’কে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবারও ঢাকার পথে পথে বাধা দিয়েছে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও মাওয়া মহাসড়কে গতকালও কোনো ধরনের গণপরিবহন চলতে দেওয়া হয়নি। বন্ধ রাখা হয়েছিল লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল।অল্প কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ও রিকশা চললেও যাত্রীদের পথে পথে আটকে তল্লাশির নামে হয়রানি করা হয়েছে। গণমাধ্যম ও জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পরিচয়পত্র দেখালেও তাঁদের ঢাকায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং মুন্সিগঞ্জে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।নারায়ণগঞ্জে পথে পথে তল্লাশি: নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কের সুলতানা কামাল, কাঞ্চন ও শীতলক্ষ্যা সেতু (কাঁচপুর), মেঘনা সেতু টোল প্লাজা, শিমরাইল, সাইনবোর্ড মোড়, মদনপুর, পাঁচরুখী এলাকায় গতকালও বিপুলসংখ্যক পুলিশ যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের তল্লাশি চালায়। শহরের চাষাঢ়া ও ২ নম্বর রেলগেট এবং পাগলা এলাকায়ও পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসে। কয়েকটি স্থানে র্যাবের সদস্যরা পৃথক তল্লাশি চৌকি বসান। মহাসড়কে ছিল সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাধায় ব্যস্ততম দুটি মহাসড়কে গণপরিবহন ছিল না বললেই চলে।দুটি বুড়িগঙ্গা সেতুতে প্রহরা: সকাল থেকে রাজধানীর প্রবেশমুখ পোস্তগোলায় বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু ও নয়াবাজারে বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুতে পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় ছিল। লাঠিসোঁটা হাতে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা কোনো ধরনের যানবাহনকে সেতু পার হতে দেননি। এমনকি কেউ হেঁটে যেতে চাইলেও তাঁকে রাজধানীতে ঢুকতে দেননি।ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার আগানগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা ইসরাফিল হায়দার বলেন, ‘আমি মিটফোর্ড হাসপাতালের অফিস সহকারী। পুলিশের বাধার কারণে গত দুই দিন হাসপাতালে যেতে পারিনি। আজ (গতকাল) সকালে কদমতলী এলাকায় পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখালেও তাঁরা আমাকে যেতে দেননি।’ভোগড়া বাইপাস মোড়ে এসেই বন্ধ: গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ মহাসড়কে রিকশা, অটোরিকশা চললেও কোনো বাস চলতে দেওয়া হয়নি। সদর উপজেলার ভোগড়া বাইপাস মোড়ে এলেই যানবাহন আটকে দেয় পুলিশ।বিচ্ছিন্ন মুন্সিগঞ্জ: গতকালও মুন্সিগঞ্জ শহর, লৌহজং, মাওয়া ঘাট, সিরাজদিখান, টঙ্গিবাড়ী ও শ্রীনগর থেকে কোনো বাস চলেনি। মুক্তারপুর ও ধলেশ্বরী সেতু এবং মাওয়া ঘাটে পুলিশ চৌকি বসিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালায়।হামলা-সংঘর্ষ: গতকাল দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদল ও ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী জিঞ্জিরা ফেরিঘাটে জড়ো হন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাতজনকে মারধর করেন।সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।চলেনি লঞ্চ: ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে জানা গেছে, গতকাল ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। কোনো লঞ্চ আসেনি।মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে গতকালও ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করেনি। নারায়ণগঞ্জে খুব কম লঞ্চ চলাচল করেছে। সকালে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে পুলিশ গিয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়।[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, টঙ্গী (গাজীপুর) ও কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি] |
ফেনীর দাগনভূঞায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল রোববার থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ মো. ইউছুফ (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।মামলার এজাহারে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে তিন দুর্বৃত্ত এক গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। এতে ওই নারী অচেতন হয়ে পড়ে। পরে দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়। শনিবার সকালে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল তিনি দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ ইউছুফকে গ্রেপ্তার করে।পাবনায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে যুবলীগের এক নেতাকে হত্যা করেছে। সিলেটে যুবলীগের এক নেতার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁর রগ কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যশোরে গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গতকাল বুধবার মারা গেছেন।আমাদের প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট এবং পাবনা ও যশোর অফিসের পাঠানো খবর:পাবনা: প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলা জজ আদালতের পাশে কাচারি পাড়া মহল্লার সাহারা ক্লাব মোড়ে গতকাল দুপুরে যুবলীগের সদর থানা কমিটির সদস্য গেদা বাবুকে (৩৮) প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁর বাড়ি পাবনা পৌর সদরের মণ্ডলপাড়ায়। ঘটনার সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং ধাওয়া করে রক্তমাখা অস্ত্রসহ পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করে।আটক ব্যক্তিরা হলেন সুমন হোসেন (৩০), সাগর (২৮), বিপুল হোসেন (৩০), রুবেল (৩০) ও রনি হোসেন (৩০)। তাঁদের সবার বাড়ি পৌর সদরের বাংলাবাজার এলাকায়।পুলিশ ও গেদার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের র্যালিতে ইমন হোসেন নামে যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মামলার আসামিদের গতকাল আদালতে হাজিরার দিন ছিল। সকাল ১০টার দিকে গেদা বাবুর নেতৃত্বে আসামিরাসহ কয়েকজন আদালতে যান। আসামিদের সাতজনকে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুপুর ১২টার দিকে অন্যদের নিয়ে গেদা বাবু বাড়ি ফিরছিলেন।সূত্র আরও জানায়, ফেরার পথে ৮-১০ জন যুবক গেদা বাবুকে ধরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। দূরে থাকা একদল পুলিশ সদস্য বিষয়টি দেখে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে এগিয়ে আসেন। এ সময় যুবকেরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। গেদা বাবুকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি হানিফুল ইসলাম বলেন, ইমন হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। এর জের ধরেই গেদা বাবুকে হত্যা করা হতে পারে। এখনো কেউ মামলা করতে থানায় আসেনি।যশোর: যশোরে গত মঙ্গলবার রাতে গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা নজরুল ইসলাম গতকাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি দলের যশোর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর টায়ার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি।নজরুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মালিক সমিতির নেতা-কর্মীরা দোকানপাট বন্ধ করে গতকাল সকাল ১০টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা খুনিদের গ্রেপ্তার দাবি করেন। পুলিশের আশ্বাসে দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।সমিতির সহসভাপতি কাওছার আহমেদ বলেন, খুনিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। বৃহস্পতিবারের মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।নজরুল গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মনিহার এলাকায় তাঁর পুরোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘আকাশ টায়ার হাউসে’ বসে ছিলেন। ওই সময় তিনটি মোটরসাইকেলে একদল সন্ত্রাসী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান।যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ বলেন, নজরুল হত্যায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন সেলিম পলাশ (৩০), রনি (২২), হূদয় (২৩), সুমন (২৪), শান্ত (১৯) ও সাজ্জাত (২৩)।সিলেট: সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য দুলাল মিয়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ‘জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা’। তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।দুলাল দাবি করেন, জামায়াত-শিবিরের কয়েকজন কর্মীকে তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল পুলিশ শিবিরের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।হাসপাতালের উপপরিচালক ইহতেশামুল হক চৌধুরী জানান, দুলালের শরীরে তিন দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। এলোপাতাড়ি কোপে তাঁর দুই হাত ও ডান পায়ের ৩৫টি স্থানে রগ কাটা পড়েছে। বুক ও পিঠে গভীর ক্ষত হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আখালিয়ায় ‘ঢাকা অটো ডিলাক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ’ নামের নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসা ছিলেন দুলাল। এ সময় পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জন এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপায়। দুলালের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেল ও একটি মুঠোফোন ফেলে পালিয়ে যায়। ক্ষুব্ধ লোকজন মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দিয়েছেন।সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, জগৎজ্যোতি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরাই এ হামলায় জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে শিবিরের দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে।হরতাল, অবরোধ ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে দেশে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অনেক প্রাণ আমরা হারিয়েছি এ কয় দিনে। তবু আমরা হতাশ হব না। বাংলাদেশ ঠিকই সব সমস্যা কাটিয়ে উঠে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার সেন্ট যোসেফ স্কুল মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললেন, ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আমরা কিছুতেই হারব না।’প্রথম আলোর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে খুলনাবাসী বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে প্রথম আলোর আরও সাহসী ভূমিকা আশা করেন। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে থেকে মিলনায়তনের সামনের সবুজ চত্বরে আসতে শুরু করেন অতিথিরা। চা-চক্রের সঙ্গে চলে পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে কানায় কানায় ভরে ওঠে মিলনায়তন। অনুষ্ঠানস্থল পরিণত হয় মিলনমেলায়।অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর খুলনার প্রতিনিধি সুমন্ত চক্রবর্তী। প্রথম আলোর বর্ষপূর্তির আয়োজনে এবারের মূল ভাবনা ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’-এর ওপর নির্মিত আশা আছে প্রামাণ্যচিত্রটি দেখানো হয়। এরপর মঞ্চে আসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহামঞ্চদ ফায়েকউজ্জামান। তিনি বলেন, প্রথম আলো সম্পর্কে জানেন না, দেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটি শুধু একটি পত্রিকাই নয় বরং এটি মানবিক মূল্যবোধের জন্য সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম।প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম অতিথিদের সম্ভাষণ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। প্রথম আলো বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বিচ্যুত হবে না। স্বাধীতার চেতনা আমরা বুকে ধারণ করি। আমরা কিছুতেই দেশকে আর পেছনের দিকে যেতে দেব না।’ তিনি খুলনায় বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।এরপর ‘আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও’ সমাপনী রবীন্দ্রসংগীতের মধ্য দিয়ে পর্দায় তুলে ধরা হয় প্রথম আলোর নানা সামাজিক কার্যক্রম। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন খুলনার মেয়র মো. মনিরুজ্জামান, বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল জলিল, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা আমীর হোসেন, অধ্যাপক রফিকউজ্জামান, বিএল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক, অধ্যাপক ভার্গব বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক দীপা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান, মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুল কাইয়ুম, খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আবুল বাশার তালুকদার, পুলিশ সুপার আবদুর রউফ খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক তরুণ কান্তি শিকদার, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মাহবুব আলমসহ আরও অনেকে।অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন তো কতবারই। প্রতিবারই নিশ্চয়ই রাতে ঘুমিয়েছেন চোখে-মনে সেঞ্চুরির স্বপ্ন এঁকে। সেই স্বপ্ন নিয়েই ঘুম ভেঙেছে। তবু জ্যাক ক্যালিসের কাছে পরশুর সকাল আর আগের রাতটি একেবারেই অন্য রকম ছিল। চেনা অনুভূতিই ধরা পড়েছে নতুন রূপে। ক্যালিস জানতেন, সাদা পোশাকে সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া আর জেগে ওঠা এই শেষবার!কেমন ছিল সেই অনুভূতি? কাছ থেকে দেখে সতীর্থ রবিন পিটারসনের উপলব্ধি, ‘জ্যাক পোকার খেলায় দুর্দান্ত, ঝানু পোকারুর মতোই নির্লিপ্ত ওর চেহারা। মনের ভেতর কী চলছে, বোঝার উপায় নেই। রাতের কথা বলতে পারব না, তবে আমি নিশ্চিত নব্বইয়ে ও একটু নার্ভাস হয়ে গিয়েছিল।’ভেতরের কথা জানিয়েছেন ক্যালিস নিজেই, ‘অনুভূতিটা সত্যিই বিশেষ কিছু...কিছুটা অদ্ভুতও। ব্যাট করতে নামার সময় মনে হলো, আজকের পর আগামীকাল বলে আর কিছু নেই, দেশের হয়ে টেস্ট সেঞ্চুরি করার শেষ সুযোগ এটিই!’পরশুর আগে টেস্টে ৪৯ বার পা রেখেছেন নড়বড়ে নব্বইয়ে, ৪৪ বারই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। কিন্তু শেষবার বলেই হয়তো পরশু সত্যি খানিকটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন ক্যালিস। ব্যাটিংয়ে সেটা যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি স্বীকারও করেছেন অকপটে, ‘নব্বইয়ে চাপ থাকে সব সময়ই। তবে এবারের চাপ ছিল একটু অন্য রকম। শেষবারের মতো নব্বইয়ে...এবার অনুভূতি ছিল একটু আলাদা।’বোঝাই যাচ্ছে, শেষ সেঞ্চুরিটির সঙ্গে ক্যালিসের মিশে থাকছে অনেক আবেগ। দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারের সেঞ্চুরি আবেগময় করে তুলেছিল সতীর্থদেরও। পিটারসনই জানালেন, দিনের শুরু থেকেই ক্যালিসের রান গোনা চলছিল ড্রেসিংরুমে। ড্রেসিংরুমে সামনের সারিতে বসা নিয়ে ছিল প্রতিযোগিতা, সবার চোখ ছিল ২২ গজে। একটি বল, একটি শটও মিস করতে চাননি কেউ। কাঙ্ক্ষিত সেই মুহূর্তটি আসতেই সবাই অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন মহানায়ককে। আউট হয়ে ফেরার সময় সবার আগে ছুটে নিচে চলে যান অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। জড়িয়ে ধরে চুমু খান তাঁর কপালে। অধিনায়ককে অনুসরণ করে এগিয়ে যান অন্যরাও।সেই আবেগময় সময়টার কথা শোনালেন পিটারসন, ‘সবাইকেই আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রবলভাবে। এগিয়ে গিয়ে বরণ করে আনল ওকে। সবার জন্যই ছিল আবেগময় মুহূর্ত, বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ওর সঙ্গে খেলেছে যারা। অলরাউন্ডার হিসেবে মানদণ্ডটা অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে জ্যাক। শেষটাও হলো দুর্দান্ত।’নিজের সেঞ্চুরির সঙ্গে দলের ম্যাচ ও সিরিজ জয়—শেষটা যেন তাঁর ক্যারিয়ারেরই প্রতীকী। জ্যাক ক্যালিস যে সত্যিকারের এক বিজয়ীর নাম! ওয়েবসাইট। |
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান দেশের শীর্ষ স্থানীয় আইনবিষয়ক মাসিক সাময়িকী ঢাকা ল রিপোর্ট -এর (ডিএলআর) সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। গত ২২ জুলাই সাময়িকীটির সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করায় পদটি শূন্য হয়। গত ৬৪ বছর ধরে ডিএলআর নিয়মিত ছাপা হচ্ছে। খুরশীদ আলম ১৯৯০ সালে হাইকোর্টে ও ২০০৪ সালে আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। তিনি বার কাউন্সিলের আইন সাময়িকী বিএলডির রিপোর্টার ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেকেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। দারুণ হতো যদি বিদায়ী ম্যাচেও সেঞ্চুরি হতো। কিন্তু শচীন টেন্ডুলকারের সামনে কাল সেই সুযোগ ছিল না। তৃতীয় দিন শেষে সেঞ্চুরি থেকে ৪৫ রান দূরে দাঁড়িয়েছিলেন টেন্ডুলকার। আর জয়ের জন্য মুম্বাইয়ের দরকার ছিল ৪০ রান। কাজেই সেঞ্চুরির প্রশ্নই আসে না। তবে নিজের কাজটা করেছেন ঠিকঠাক। মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়ে। আর ১৭৫ বলে অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংস খেলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, লক্ষ্যটা বড় হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের শেষটা সেঞ্চুরির রঙেই রাঙাতে পারতেন।হরিয়ানার ছুড়ে দেওয়া ২৪০ রানের চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন ছিল, ম্যাচের স্কোরকার্ডেই সেটা স্পষ্ট। প্রথম ইনিংসে হরিয়ানার ১৩৪ রানের জবাবে মুম্বাই গুটিয়ে যায় ১৩৬ রানে। এমন উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ২৩৯ রান তাড়া করাটা কঠিন। ম্যাচ শেষে টেন্ডুলকারই বলেছেন, লক্ষ্যটা ২৪০ হলেও উইকেট বিবেচনায় সেটা ছিল আসলে ২৮০-এর মতো।কাল দলের ৪০ রানের ২৪ রানই নিয়েছেন টেন্ডুলকার। মোহিত শর্মাকে চার মেরে ধবল কুলকার্নি জয়সূচক রান নেওয়ার পর দু হাত উচিয়ে প্রথম জয়োল্লাস শুরু করেন টেন্ডুলকারই। দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন সঙ্গীকে। চ্যাম্পিয়নের বিদায়টা হলো চ্যাম্পিয়নের বেশেই।প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়, আম্পায়ারদের সঙ্গে অভিনন্দন শেষে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার পথে মুম্বাই সতীর্থরা তাঁকে তুলে নেন কাঁধে। প্রতিপক্ষ হরিয়ানার খেলোয়াড়েরা দুই পাশে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আগের দিনই দিয়েছিলেন গার্ড অব অনার। ঘরোয়া ক্রিকেটে টেন্ডুলকারের শেষ ম্যাচ বলে প্রতিদিনই লাহলির বংশীলাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত টেন্ডুলকার তার প্রতিদান দিয়েছেন ধন্যবাদ জানিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটের অধ্যায় শেষ করে ভারতের লিটল মাস্টারের দৃষ্টি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জীবনের শেষ দুটি ম্যাচের দিকে। ওয়েবসাইট।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৭১ ঘণ্টার অবরোধের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে। কাঁচাবাজারগুলোতে গতকাল শুক্রবার প্রায় সব ধরনের সবজির দামই বেড়েছে, বিশেষ করে শীতকালীন সবজি। সবজিভেদে এই দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে দেশি মুরগির দামও।দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলেছেন, অবরোধের কারণে কয়েক দিন ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য এসেছে খুব কম। অনেক স্থানে পণ্যবোঝাই ট্রাক অপেক্ষায় ছিল। এতে একদিকে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, অন্যদিকে অনেক পণ্য নষ্ট হয়েছে। সরবরাহ-সংকটের পাশাপাশি এসবও দাম বাড়ার কারণ।দাম বাড়া নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ দেখা গেলেও বাড়তি দাম দিয়েই তাঁদের পণ্য কিনতে হয়েছে। অবরোধের কারণে দাম বাড়ায় তাঁদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি।কারওয়ান বাজারে রাসেল নামের এক ক্রেতা প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ও ক্ষমতার জন্য হানাহানিতে জড়িয়েছে। আর সব দিক থেকে এর মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।একাধিক কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের অন্যতম সবজি বড় আকারের প্রতিটি ফুলকপির দাম ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও পাকিস্তানি মুরগির দাম ওজনভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। আর ডাল, চাল, চিনি, তেলের দাম ছিল স্থিতিশীল।কারওয়ান বাজার ও মিরপুরের কাজীপাড়ায় প্রতিটি বাঁধাকপি ৩৫-৪০, টমেটো প্রতি কেজি ১০০, বেগুন ৫০, কাঁচা মরিচ ৮০, শালগম ৪০, মুলা ৩০, শিম ও পটোল ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে কাজীপাড়া বাজারের তুলনায় দাম কিছু কম ছিল কারওয়ান বাজারে। কাজীপাড়া বাজারে যেখানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, কারওয়ান বাজারে তা ছিল ৬০ টাকা।কাজীপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা আল আমিন জানান, অবরোধের আগে প্রতি কেজি শিম ৪০, পটোল ৩০-৩৫, মুলা ২০-২৫, প্রতিটি ফুলকপি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অবরোধের কারণে এগুলোর দাম বেড়েছে।এ দুটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একমাত্র পুরান আলু ছাড়া ৩০ টাকার নিচে কোনো সবজি বিক্রি হচ্ছে না।কারওয়ান বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি দেশি মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ এবং পাকিস্তানি মুরগি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। একাধিক মুরগি বিক্রেতা জানান, অবরোধের পরে দেশি ও পাকিস্তানি মুরগির দাম আগের চেয়ে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি আগের দামে প্রতি কেজি ১২০-১২৫ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে।রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তথ্য কমিশন থেকে ১৮ ডিসেম্বর সাভারের বাসস্ট্যান্ড এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের নামে একটি জরুরি কাগজ পাঠানো হয়। ঢাকার তেজগাঁও পোস্ট অফিস থেকে রেজিস্টার্ড ডাকে পাঠানো ওই কাগজটি প্রাপকের কাছে পৌঁছায় গত রোববার। ঢাকা থেকে সাভারের ২১ কিলোমিটার দূরত্ব পার হতে ডাক বিভাগের লেগে গেল ১২ দিন।ডাক বিভাগ সূত্র জানায়, ঢাকার জিপিওসহ সাভার, ধামরাই এবং মানিকগঞ্জের বিভিন্ন পোস্ট অফিসে প্রতিদিন শত শত চিঠি ও পার্সেল জমা পড়লেও হরতাল আর অবরোধের কারণে তা নিয়মিত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রাপকেরা।অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য রোববার সাভার উপজেলা পোস্ট অফিসে ৩০টি রেজিস্টার্ড ও একটি বৈদেশিক চিঠিসহ ছয়টি পার্সেল বুকিং দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার জমা পড়ে ৩৫টি রেজিস্টার্ড ও একটি বৈদেশিক পত্র। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সেগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠানো সম্ভব হয়নি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের ছয় উপজেলায় চারটি সাব ও ৫৪টি শাখা পোস্ট অফিস রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে এসব পোস্ট অফিসে জমা পড়া কোনো চিঠি ও পার্সেল নির্দিষ্ট গন্তব্যে পাঠানো যায়নি। ঢাকা থেকেও কিছু আসেনি এসব পোস্ট অফিসে।সাভার ও ধামরাইয়ের একাধিক সরকারি কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস ধরে ডাকযোগে আসা দাপ্তরিক নথির সংখ্যা না কমলেও নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কাজকর্মে অনেক সমস্যা হচ্ছে।মানিকগঞ্জ জেলা পোস্টমাস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, হরতাল আর অবরোধের কারণে সপ্তাহে মাত্র এক দিন (বন্ধের দিন) মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে ডাক পাঠানো হয়। একই গাড়িতে মানিকগঞ্জসহ সাভার ও ধামরাইয়ের ডাক ঢাকায় পাঠানো হয়। এ কারণেই প্রাপকেরা যথাসময়ে তাঁদের ডাক পাচ্ছেন না।ঢাকার সাভার, ধামরাইসহ মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী ডাক পরিদর্শক আবদুল ওয়াহাব জানান, ডাক পরিবহনের যানবাহনে অনেক মূল্যবান, প্রয়োজনীয় নথি ও দ্রব্যাদি থাকে। কোনো কারণে দুর্বৃত্তরা ডাকবাহী গাড়িতে হামলা করলে শত শত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধের দিন ছাড়া আর ডাক পরিবহন করা হচ্ছে না। |
চট্টগ্রাম আদালতে আশফাক (৫০) নামের এক প্রতারককে আটক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি তাঁকে আটক করে ভবিষ্যতে আদালতে প্রতারণা করতে আসবেন না—এ রকম অঙ্গীকার নিয়ে ছেড়ে দেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহামঞ্চদ কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কখনো মন্ত্রীর আত্মীয়, কখনো পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন আশফাক। মামলায় রায় পক্ষে এনে দেওয়ার কথা বলেও অনেক লোকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।’ আদালত প্রাঙ্গণকে প্রতারকমুক্ত করার অংশ হিসেবে আশফাককে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।বিটকয়েনভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় গণনাযন্ত্র (এটিএম) স্থাপনের ফলে লেনদেনে যুক্ত হলো নতুন মাত্রা। কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে তিন তরুণ উদ্যোক্তা গত মঙ্গলবার এই এটিএম চালু করেন।বিটকয়েন কী?স্বাধীন গ্রাহক থেকে গ্রাহকের মধ্যে অনলাইনে লেনদেনের ডিজিটাল মাধ্যম।১ মাস্টারকার্ড, ভিসাকার্ড বা অন্য কোনো মাধ্যমে লেনদেনে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ লাগলেও বিটকয়েনে এসব ঝামেলা নেই। ওয়েবসাইট থেকে বিটকয়েন কেনা যায়।২ কয়েকটি দেশে অনলাইনভিত্তিক লেনদেনে বিটকয়েনের মাধ্যমে কেনাকাটা সম্ভব।৩ সাধারণ ই-মেইল বা মুঠোফোনে বার্তা পাঠানোর মতোই সহজ বিটকয়েনের ব্যবহার।4 বর্তমান বিশ্বে ১ বিটকয়েন= ২০২ মার্কিন ডলার/১২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড/১৪৬ ইউরো।ঘুরে দাঁড়ালেন সিদ্দিকুর। কাল ইন্দোনেশিয়া ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পারের চেয়ে ৪ শট কম খেলে ৩০ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের গলফার। দ্বিতীয় দিনে খেলা ১৬ হোলে একটি বগির বিপরীতে পাঁচটি বার্ডি করেই এগিয়েছেন সিদ্দিকুর। বাজে আবহাওয়ায় আগেভাগে শেষ হওয়া দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ করতে আজ স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ছয়টায় কোর্সে নামবেন বেশির ভাগ গলফার। এদের মধ্যে আছেন পারের চেয়ে ১০ শট কম খেলে সবার ওপরে থাকা ভারতীয় গলফার গগনজিৎ ভুল্লারও। তথ্যসূত্র: এশিয়ান ট্যুর।শ্রীলঙ্কা সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশের সঙ্গে গত মার্চে। প্রায় নয় মাস পর আজ আবার টেস্ট খেলতে নামছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল। আবুধাবিতে প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের সিরিজ।শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ম্যাথুসের কাছে সিরিজটা নতুন এক চ্যালেঞ্জ, ‘দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলতে যাচ্ছি আমরা। এটাই আমাদের দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা কিছু চার দিনের ক্রিকেট খেলেছি; তবে তা টেস্ট খেলার মতো পর্যাপ্ত নয়।’ পাকিস্তানি অফ স্পিনার সাঈদ আজমলকে বড় হুমকি মানলেও শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক আত্মবিশ্বাসী, তাঁরা আজমলকে ভালোই সামলাতে পারবেন। ২০১১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই শ্রীলঙ্কাকে ১-০-তে হারানো তিন টেস্টের সিরিজে আজমল নিয়েছিলেন ১৮ উইকেট। দল হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে সমীহ করছেন পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকও। তবে আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মিসবাহ। আর আত্মবিশ্বাসের মূলে আছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়। ‘আমাদের দলটা ভালো অবস্থায় আছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না’—বললেন মিসবাহ-উল-হক। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট ৮-১২ ও ১৬-২০ জানুয়ারি হবে দুবাই ও শারজাতে। ওয়েবসাইট। |
বিএনপি নির্বাচন চাইলে নির্বাচনকালীন সরকারপদ্ধতি সম্পর্কে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে। জাতির স্বার্থে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে গত শনিবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, সাংবিধানিক উপায়েই নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। সংসদে আসুন, পরিষ্কার করে বলুন, কী চান।’ সামরিক শাসন, জরুরি অবস্থা ও সেনা-সমর্থিত সরকারের নামে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের অবৈধ সংস্কৃতি বন্ধ করতে তাঁর সরকার সংবিধান সংশোধন করেছে।জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রথম আলোর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিবিদ হয়ে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা তো আমি বলতে পারি না। তবে আইন-আদালতের মাধ্যমেই জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।’শেখ হাসিনা বলেন, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচন এবং ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে। এর কোনো ব্যতিক্রম বা বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘পরপর ১৩টি গ্রেনেড ছুড়ে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। ১৫ আগস্ট যে দিনটিতে আমি আমার মা-বাবার স্বজনদের হারিয়েছি, সে দিনটিতে জন্মদিন পালন করে বেগম খালেদা জিয়া উল্লাস করেন।’সুশীল সমাজের নামে কিছু লোক দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব সুশীলকে বুঝতে হবে, আওয়ামী লীগকে খাটো করলে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষকেরা ক্ষমতায় আসবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হয়ে পড়বে। আইনের আপন গতিতেই দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের দণ্ড কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহেশখালীসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। রাজনৈতিক কারণে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।সংবর্ধনা: সংবাদ সম্মেলনের পর হোটেল হিলটনে প্রধানমন্ত্রীকে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মঈন উদ্দীন খান বাদল প্রমুখ।সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বোয়িং কোম্পানি উড়োজাহাজ সরবরাহ করলেই আগামী বছরের প্রথম দিকে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু হবে।আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, গত ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতের হাজার হাজার কর্মী নিহত হয়েছে বলে বিএনপি মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। তারা হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহত এবং যুক্তরাষ্ট্রের জোনস শহরে গণ-আত্মহত্যার ছবি দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের তৎপরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা পবিত্র কোরআনের হাজার হাজার কপি পুড়িয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পবিত্রতা ধ্বংস করেছে।বিক্ষোভ: প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন। জামায়াত-সমর্থক নারী কর্মীরা তাঁদের শিশুসন্তান নিয়ে বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ছিলেন। দুপুর থেকে চলা এ বিক্ষোভ রাত ১০টা পর্যন্ত চলে।ভালো বিপদেই পড়েছেন সেপ ব্ল্যাটার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে বেফাঁস কথা বলার জন্য এখন সামলাতে হচ্ছে ত্রিমুখী আক্রমণ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন—সবাই মুখর ফিফা সভাপতির সমালোচনায়। শেষ পর্যন্ত নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছেন ব্ল্যাটার।ঘটনাটা গত শুক্রবারের। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ব্ল্যাটারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রোনালদো-মেসির মধ্যে কাকে তিনি বেছে নেবেন। হালকা সুরে ব্ল্যাটার উত্তর দেন, ‘মেসি হচ্ছে বাবা-মায়ের সুবোধ ছেলেটির মতো, যাকে সবাই চায়। আসলেই সে একজন ভালো মানুষ। সে অনেক দ্রুতগতিসম্পন্ন, ভালো খেলে কিন্তু মোটেই উচ্ছৃঙ্খল নয়।’ এতক্ষণ পর্যন্ত ঠিকই ছিল সব। এরপরই চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে রোনালদোর অঙ্গভঙ্গি নকল করে ব্ল্যাটার বলতে থাকেন, ‘রোনালদো হচ্ছে মাঠে সেনাপতির মতো। একজনের হেয়ারড্রেসারের খরচ আরেকজনের চেয়ে বেশি, কিন্তু এটা আসলে তেমন কোনো ব্যাপার নয়। কে সেরা সেটা আমি বলতে পারি না, এই বছরেও আবার জোর লড়াই হবে দুজনের। আমি দুজনকেই পছন্দ করি, কিন্তু মেসিকেই আমি বেছে নেব।’সামনের জানুয়ারিতেই ফিফা-ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। এর আগে ব্ল্যাটারের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেননি রোনালদো। নিজের ফেসবুক পেজে ব্ল্যাটারের ভিডিওটা পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘আমাকে, আমার দেশ ও ক্লাবকে ফিফা কতটা সম্মান করে এই ভিডিওটাই সেটা বলছে। অনেক কিছুই এখন পরিষ্কার। আমি মি. ব্ল্যাটারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আশা করি, তাঁর প্রিয় ক্লাব ও খেলোয়াড়দের আরও অনেক সাফল্য তিনি দেখবেন।’ সরাসরি আক্রমণ করেননি বটে, বোঝাই যায় রোনালদো কতটা খেপেছেন!রিয়াল মাদ্রিদ শুধু প্রতিক্রিয়া জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানিয়েছেন, ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ব্ল্যাটারের কাছে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি লিখেছেন। বলেছেন ব্ল্যাটারের বক্তব্য ‘একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের জন্য ভীষণ অসম্মানজনক’, একই সঙ্গে ‘দুর্ভাগ্যজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ এবং ক্লাব ও সমর্থকদের জন্য ‘বিশাল হতাশার’। চিঠিটা রিয়াল মাদ্রিদের ওয়েবসাইটে ছাপাও হয়েছে। পেরেজের আশঙ্কা, ব্যালন ডি’অরের ভোটেও এটা প্রভাব ফেলতে পারে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে রোনালদো জেতেন ব্যালন ডি’অর। এরপর টানা চারবার জিতেছেন মেসি।পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফপি) সভাপতি ফার্নান্দো গোমেজ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় দলের অধিনায়ককে নিয়ে ব্ল্যাটারের কথাগুলো আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। আমার কাছে এই মন্তব্য রোনালদোর জন্য মানহানিকর; পর্তুগালের মতো একটা ফুটবলপাগল দেশের জন্যও। কেন তিনি এমন মন্তব্য করলেন সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। ফিফার কাছে তাঁর আসল উদ্দেশ্য জানতে চেয়ে আমরা চিঠি দিয়েছি।’”চারদিক দিয়ে এত আক্রমণের তোড়ে ব্ল্যাটার কি একটু বেসামাল? তড়িঘড়ি করে তাই টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, ‘আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, রোনালদো ও মেসিকে আমি একই মানের মনে করি। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যে এতজনকে আঘাত দিয়েছি, সে জন্য আমি দুঃখিত। রিয়াল মাদ্রিদ, তাদের কোনো খেলোয়াড় বা সমর্থককে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’ রয়টার্স।ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হচ্ছে আগামী ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে। এর মধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট আসবে সে দেশের সরকারি খাত থেকে। আর ২৫০ মেগাওয়াট বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির কাছ থেকে আনা হচ্ছে।গত ৫ অক্টোবর ভারত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। সেদিন থেকে সরকারি খাতের ১৭০ থেকে ১৭৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছিল। সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে এত দিন এর বেশি বিদ্যুৎ আনা সম্ভব হয়নি।ইতিমধ্যে সঞ্চালনব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সব যন্ত্রপাতি বসানো শেষ হয়েছে। এই কাজের অংশ হিসেবে ২৫ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির সমগ্র ব্যবস্থাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ শনিবার পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে। আগামীকাল রোববার থেকে আবার ১৭০-১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করা হবে।বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন বলেন, আগামী মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ানো হবে। মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত এভাবে পরীক্ষামূলক সঞ্চালন চলবে। তাতে সবকিছু ঠিক থাকলে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হতে থাকবে। এর ফলে দেশে ডিজেল ও ফার্নেস তেলচালিত কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন কমিয়ে আর্থিক সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের আমলে স্থাপিত ৫৭টিসহ দেশে এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৪। এই কেন্দ্রগুলোর মোট স্থাপিত ক্ষমতা নয় হাজার ৭১৩ মেগাওয়াট। এর সঙ্গে আমদানি করা ৫০০ মেগাওয়াট যুক্ত করা হলে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দাঁড়ায় ১০ হাজার ২১৩ মেগাওয়াট।স্থাপিত ক্ষমতা ছাড়াও এই আমদানির মাধ্যমে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়বে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে গত ১২ জুলাই রাত আটটায়, ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট। আসন্ন সেচ ও আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রয়োজনীয় জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত হলে তা প্রায় আট হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হতে পারে। কারণ, এই সময়ে আরও কয়েকটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা।বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে রেকর্ড পরিমাণ অগ্রগতি হয়েছে। ইতিমধ্যে মোট চার হাজার ৭৭১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৭টি নতুন কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। আরও ছয় হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এ বছরের মধ্যে আরও প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা।ম্যাচের ৩০ মিনিটেই মাঠ ছেড়ে যান ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচ। চেলসি ডিফেন্ডারকে চোটের কারণেই উঠে যেতে হয়েছে, কিন্তু কেউ কেউ খোঁচা মারলেন সুয়ারেজের ভয়েই বুঝি মাঠ ছেড়েছেন! নয় মাস আগে হাত কামড়ে দেওয়ার স্মৃতিটা নিশ্চয়ই ভোলেননি ইভানোভিচ!পরশু সে রকম কিছুই হয়নি। কিন্তু লুইস সুয়ারেজ যখন চেলসির মুখোমুখি, তখন বিতর্ক কি না থেকে পারে? শুরুতে মার্টিন স্কারটেলের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। এডেন হ্যাজার্ড ও স্যামুয়েল ইতোর গোলে শেষ পর্যন্ত ২-১-এ জিতেছে চেলসি। কিন্তু ফল ছাপিয়ে ম্যাচ শেষে বড় উঠল বিতর্ক। অবধারিতভাবেই সেটার সঙ্গে আছেন সুয়ারেজ। বক্সের ভেতর স্যামুয়েল ইতো ধাক্কা দিয়েছিলেন সুয়ারেজকে। কিন্তু রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব দেননি।সংবাদ সম্মেলনে হোসে মরিনহো স্বভাবসুলভভাবে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। সুয়ারেজ ইচ্ছে করেই পড়ে গেছেন বলে দাবি তাঁর, ‘আমার মনে হয় ওয়েব একটা ভুল করেছিলেন। তিনি সুয়ারেজকে হলুদ কার্ড দেননি।’ পরে যা বলেছেন সেটি কতটা শিষ্টাচারসম্মত, তর্ক হতে পারে, ‘কোনো সন্দেহ নেই সে (সুয়ারেজ) অনেকটাই বদলে গেছে। ব্রেন্ডন রজার্স তাকে ভালোই সামলাচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে যখন আপনি হারতে চলেছেন তখন আপনার আসল রূপ বেরিয়ে আসবেই। সাধারণত যারা ওখান থেকে (দক্ষিণ আমেরিকা) আসে তারা এটা পছন্দ করে (ডাইভিং)। শুধু ওখানেই নয় অবশ্য, ইউরোপের যেখান থেকে আমি এসেছি (পর্তুগাল) তারাও এটা পছন্দ করে।’ সুয়ারেজের সমালোচনা করতে গিয়ে পর্তুগালকে টেনে এনে ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইলেন মরিনহো?ব্রেন্ডন রজার্স বিতর্কে যোগ দেননি। শুধু দাবি করেছেন, হেন্ডারসনকে ইতো যে ফাউলটা করেছেন সেটি লাল কার্ড দেখার মতো ছিল। টানা দুই হারে এক থেকে পাঁচে নেমে বছর শেষ করল লিভারপুল। কোচের হতাশাটা বোঝাই যায়! এএফপি। |
চট্টগ্রামে অপহূত শিশুকে সীতাকুণ্ড থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশুটিসহ দুই অপহরণকারীকেও আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে নগরের ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘নগরের ইপিজেড নারিকেলতলা এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে দেড় বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে নোয়াখালী নিয়ে যাচ্ছিলেন অপহরণকারীরা। রাতে সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ডে শিশুটি কান্না করলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই অপহরণকারী সোহেল ও মনির হোসেনকে আটক করে।সংসারের যাবতীয় কাজ সেরে একজন নারী তাঁর পেশাগত দায়িত্বেও নৈপুণ্যের প্রমাণ দিতে পারেন। দক্ষতার বিবেচনায় পুরুষদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন নারীরা। এত দিন পর্যন্ত বিষয়টি কেবল ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক এবার সেই ধারণার সমর্থনে প্রমাণ হাজির করেছেন।হার্টফোর্ডশায়ার, গ্লাসগো ও লিডসের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১২০ জন নারী ও ১২০ জন পুরুষকে কম্পিউটারভিত্তিক দুটি কাজ দেন। তাঁরা সমান সময়ে নিখুঁতভাবে ওই কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু একই সঙ্গে কাজগুলো করতে দিয়ে দেখা যায়, নারীরা তুলনামূলক দ্রুত সেগুলো করে ফেলতে পেরেছেন। যুগপৎ দুটি কাজ করতে গিয়ে নারী ও পুরুষের পিছিয়ে পড়ার হার ছিল যথাক্রমে ৬১ ও ৭৭ শতাংশ।গবেষকদের মতে, নারীরা একই সঙ্গে অনেকগুলো কাজের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন। কেবল কম্পিউটারে নয়, বাস্তব জগতের অনেক কাজেও তাঁরা এই সাফল্যের প্রমাণ দেন।বিএমসি সাইকোলজি সাময়িকীতে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই গবেষণার মধ্য দিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লাইভসায়েন্স।কুয়ালালামপুর থেকে কাল দুপুরে টেলিফোনে বিদ্যুৎ কুমার রায়ের কণ্ঠে উত্তেজনা, ‘আমি কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপেরুপা জিতে গেছি। আমার যে কী আনন্দ লাগছে, সেটি বলে বোঝাতে পারব না।’শুধু বিদ্যুতের জন্য নয়, বাংলাদেশের ভারোত্তোলনের জন্যই ভালো খবর এটা। বিদ্যুৎ রুপা জিতেছেন ১০৫ কেজি ঊর্ধ্ব বিভাগে। নিজেই জানালেন, স্ন্যাচে তুলেছেন ১১০ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪০ কেজি।২৪ বছর ধরে দেশে নিজের ওজন শ্রেণীতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছেন বিদ্যুৎ কুমার রায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলাই এখন তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ)। তবে বিওএ এখনো সামনে এগোতে পারেনি।ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় গেলেন মালয়েশিয়ায়। এই প্রথম কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েই সাফল্য। বিদ্যুতের আনন্দ যেন বাঁধ মানছিল না টেলিফোনে, ‘জীবনে অনেক পদক জিতেছি। তবে এই পদকটি বিশেষ কিছু আমার কাছে। কখনোই মুহূর্তটা ভুলতে পারব না।’রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো গত শুক্রবার থেকেই বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে গতকাল সোমবার থেকে রাজশাহীর স্থানীয় বাসগুলো নগরের পূর্ব দিকে যায়নি। তবে উত্তরে নওগাঁ ও পশ্চিমের চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যথারীতি বাস ছেড়ে গেছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পূর্ব দিকে গমনকারী যাত্রীদের।মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন জানায়, রাজশাহী থেকে নিয়মিতভাবে নাটোর, বগুড়া, রংপুরসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বাস ছেড়ে যায়। সেই সঙ্গে স্থানীয় পথে জেলার বাঘা, চারঘাট, তাহেরপুর, পাবনা, বেড়া, লালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বাস ছেড়ে যায়। এসব বাসের যাত্রীরা গতকাল সোমবার সকালে টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়ে। গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি সোমবার পর্যন্ত বাড়ানোর খবর শুনে শুক্রবার বিকেল থেকে ঢাকাগামী বাসের যাত্রীরা রাজশাহীতে আসেনি। এ জন্য ঢাকাগামী বাসের কাউন্টারগুলো ফাঁকাই ছিল। শুধু শিরোইল বাস টার্মিনালে স্থানীয় পথে যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা যায়। দুলারী খাতুন রাজশাহী থেকে নিয়মিত সকালে বাসে বাঘায় গিয়ে স্কুলে পড়ান। বাসের সঙ্গে তাঁর স্কুলের সময়সূচি মেলানো। সে হিসাবে তিনি সব সময় প্রথম ট্রিপের বাস ধরেন। গতকাল সকালে গিয়ে বাস না পেয়ে রেলস্টেশনে যান। ট্রেনের সময়সূচির বিপর্যয়ের কারণে ওই সময় তিনি কোনো ট্রেনও পাননি। রাজশাহীর তাপমাত্রা গতকাল বছরের সর্বনিম্ন ছিল। ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে স্টেশন থেকে ফিরে আবার রস্তায় এসে দাঁড়ান। তিনি বলেন, বাসের এমন গতিবিধি জীবনেও দেখেননি যে বাস উত্তর ও পশ্চিম দিকে যাবে, পূর্ব দিকে যাবে না।পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুলারী খাতুন বলেন, তিনিসহ বাঘাগামী কয়েকজন যাত্রী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে পুঠিয়ার বানেশ্বরে যান। সেখান থেকে হিউম্যান হলারে করে পুঠিয়ায় যান। তারপর ভটভটিতে করে বাঘায় যান। তিনি বলেন, ভটভটিতে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে তাদের হাত-পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে।নাটোরের বাসগুলো সাধারণত নগরের নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে ভদ্রার মোড় থেকে যাত্রী ওঠায়। গতকাল সকাল নয়টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায় কোনো বাস নেই। এই সুযোগে অটোরিকশা ও হিউম্যান হলার যাত্রী নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে।সিংড়ার সাচ্চু মিঞা গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁর বগলে কাপড়-চোপড়ের পোঁটলা। একজন হিউম্যান হলারের চালক এসে তাঁকে তাঁর গাড়িতে টেনে তুললেন। এরই মধ্যে একজন অটোচালক এসে তাঁর সঙ্গে বচসা জুড়ে দিলেন—‘এই রুটে হিউম্যান হলার চলবে না। অন্য রুটে যাও। এখান থেকে তারা অটো ছাড়বে।’ তিনি সাচ্চু মিঞাকে গাড়ি থেকে টেনে নিচে নামালেন। সাচ্চু মিঞা পোঁটলা হাতে নিয়ে ধুঁকছেন। ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছেন না। শীতে কাঁপছেন। তাঁকে এবার একটি অটোতে তোলা হলো। এবার তাঁর সামনে একটা হিউম্যান হলার এসে পথ আগলে দাঁড়াল। নাটোরে যেতে হলে তাঁর গাড়িতে যেতে হবে। অসুস্থ সাচ্চু মিঞাকে আবার নামতে হলো।পুঠিয়ার শিবপুর এলাকা থেকে আবদুল মজিদ আগের দিনে রাজশাহীতে এসেছিলেন তাঁর ছেলেকে নিতে। ছেলে রাজশাহীতে থেকে পড়াশোনা করে। আবদুল মজিদ ছেলের লেপ ও গরম কাপড় একটা বস্তার মধ্যে নিয়েছেন। ছেলের হাতে বইয়ের কার্টন। একটি রিকশায় এসে বাস নেই শুনে তাঁরা ঠিক করতে পারেন না, কী করে যাবেন। হিউম্যান হলার আর অটোরিকশার টানাটানি দেখে তাঁরা রিকশা নিয়ে তালাইমারী মোড়ের দিকে রওনা দেন।রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় রয়েছেন। স্থানীয় পথের গাড়ি তো চলার কথা।তবে শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘রাজশাহী থেকে শুধু পুবের দিকে কোনো বাস যাবে না। স্থানীয় পথের হোক আর ঢাকার হোক।’ কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবই তো বোঝেন।’ |
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এক একান্ত বৈঠকে তাঁরা এ আলোচনা করেন।জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তর ও নিউইয়র্কের কূটনৈতিক সূত্রগুলো গতকাল রোববার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।জানতে চাইলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের একান্ত আলোচনার আগে আধা ঘণ্টার একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়নি। তাঁদের দুজনের একান্ত আলোচনায় (১৫ মিনিট) হয়তো চলমান রাজনৈতিক বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।আবদুল মোমেন জানান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মহাসচিবের সম্মেলনকক্ষে প্রথম বৈঠকে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) পূরণসহ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সাফল্য ও নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন বান কি মুন। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। আর আগামী নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাচাই করতে জাতিসংঘকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।প্রথম দফা আলোচনার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এম জিয়াউদ্দীন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান ও পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তর তাদের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এমডিজি প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন বান কি মুন। তিনি বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে শান্তিপূর্ণ সংলাপের তাগিদ দিয়ে আসছে জাতিসংঘ। ঢাকার কূটনীতিকদের ধারণা, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে আয়োজনের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সব দলকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।নিউইয়র্কে গত শনিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত আলোচনায় বান কি মুন এসব প্রসঙ্গই তুলেছেন বলে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ প্রতিবেদককে জানিয়েছে।জাতিসংঘের মহাসচিব গত ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তির পথ সুগম করতে গত এক বছরে বান কি মুন অন্তত দুবার তাঁর সহকর্মী অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে ঢাকায় পাঠিয়েছেন।মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও একান্ত আলোচনা: বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠকের আগে শনিবার নিউইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীরা তাঁদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট বৈঠক করেন। এরপর প্রায় ২৫ মিনিট তাঁরা দুজন একান্তে আলাপ করেন।জানতে চাইলে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। আর বিরোধী দলও যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তিনি সেটিরও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, বিরোধীদলীয় নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে চান না। এ ছাড়া অন্য বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতার কোনো আপত্তি নেই। পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনেও ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিল উত্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন মনমোহন সিং।ফুটবল অঙ্গনে সম্রাট হোসেন এমিলি যেন বিস্মৃত এক মুখ। তবে এই নামটা শুনলে পুরোনো দিনের ফুটবল অনুরাগীরা নড়েচড়ে ওঠেন এখনো। জাতীয় দলের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন একসময়। সেই চেনা স্ট্রাইকারকে কাল অনেক বছর পর দেখা গেল বাফুফে ভবনে।অনেকেই জেনে থাকবেন, এমিলির বাড়ি নারায়ণগঞ্জ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। দিন চারেক আগে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওমসান তাঁর গায়ে হাত তুলেছেন বলে এমিলির অভিযোগ ছাপা হয়েছে জাতীয় পত্রিকায়। সেই ঘটনার পর কাল এমিলি বাফুফে ভবনে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁকে সান্ত্বনা দেন সাবেক ফুটবলার আবদুল গাফফার, বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী প্রমুখ। পরে এমিলি দেখা করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গেও।এমিলিকে শামীম ওসমানের মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান (জয়)।গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতার দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রশিবির। ঢাকার সাভারে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের পর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেছে শিবির। অন্যদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুরে আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।পুলিশ ও আহত ব্যক্তিদের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল রানার (২৭) দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোহেল উপজেলার চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল শুক্রবার আবু সাঈদ নামের শিবিরের এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্র জানায়, সোহেল রাত ১০টার দিকে উপজেলা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি উপজেলা শহরের অদূরে পাটনিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে শিবিরের ৮-১০ জন কর্মী তাঁর ওপর হামলা চালান। তাঁরা সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাঁর দুই পায়ের রগ কেটে দেন।গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। সোহেল রানার বাবা আহম্মদ আলী অভিযোগ করেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত শিবিরের কর্মীরা আমার ছেলেকে মারধর করে রগ কেটে দিয়েছে।’সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ছার আলী খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফয়সাল কবির বলেন, রাজনৈতিক কারণে নয়, সোহেল রানাদের পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। অথচ শিবিরের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। যাঁকে শিবিরের কর্মী বলে আটক করা হয়েছে, তিনি ছাত্রশিবিরের কর্মী নন। ঢাকার সাভারের সিঞ্জুরিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে নূর এ জামাল (২২) নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের পর তাঁর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে শিবিরের সন্ত্রাসীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নূর এ জামাল সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং আশুলিয়ার মনোহর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য।নূর এ জামাল ও তাঁর পরিবার সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার বোয়ালিয়া পাড়ার জাফর নামের বিএনপির এক নেতা নূর এ জামালকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। তাঁরা সিঞ্জুরিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত যাওয়ার পর সেখানে ওত পেতে থাকা আবুল হোসেন, জয়নাল, ফারুক, সুজন, সবুজসহ কয়েকজন যুবক নূর এ জামালকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে নূর এ জামাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাঁর হাত-পা বেঁধে রগ কাটার উদ্দেশ্যে দুই পায়ের গোড়ালির ওপর চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন।হাসপাতালে গতকাল সন্ধ্যায় নূর এ জামাল প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের সবাই শিবিরের কর্মী। রাজনীতি আর জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জাফর পরিকল্পিতভাবে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। জাফরের ইশারায় অন্যরা নির্যাতনের পর তাঁর রগ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে।এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের চিকিৎসক সুদীপ সাহা বলেন, আঘাতে নূর এ জামালের ডান পায়ের ফিবুলা অস্থি (গোড়ালির ওপরের হাড়) ভেঙে গেছে। আর বাঁ পায়ের মাংসপেশির ভেতরে রগ ছিঁড়ে গেছে অথবা থেঁতলে গেছে।আশুলিয়া ও ধামরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নূর এ জামালকে মারধর করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। হামলাকারীরা শিবিরের কর্মী কি না বা রাজনৈতিক কারণে মারধর করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এদিকে গতকাল সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুরে আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার নাটিমা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন নাটিমা গ্রামের আওয়ামী লীগের কর্মী ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, আজাদ রহমান ও আলমগীর হোসেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁদের কোটচাঁদপুর ও যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের তিন কর্মী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে নাটিমা বাজারে আসেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে এসে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার ও ঝিনাইদহ এবং গাইবান্ধা প্রতিনিধি]২০১৩ ভালো যায়নি। নতুন বছরে তাই নিজেকে অনেকটা বদলাতে চাইছেন রজার ফেদেরার। এরই মধ্যে শৈশবের নায়ক স্টেফান এডবার্গকে কোচ করেছেন। এবার র্যাকেটও পাল্টে ফেলছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলবেন ৯৮ বর্গইঞ্চির নতুন উইলসন র্যাকেট দিয়ে। র্যাকেট নিয়ে এর আগেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এ বছর সুইস ও হামবুর্গ ওপেনে বড় র্যাকেট নিয়ে খেলেছেন। কিন্তু শিরোপা জিততে পারেননি। পরে ইউএস ওপেনে ফিরে যান ছোট র্যাকেটেই। নতুন বছরে আবারও হাতে তুলবেন বড় র্যাকেট। কিন্তু তাতে কি ভাগ্য বদলাবে? যদিও দাবি করছেন, এখনো গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের ক্ষমতা তাঁর আছে। ওয়েবসাইট। |
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন: ‘নারীর অগ্রযাত্রা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আচার অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে বাধা নয়, বরং পরিপূরক’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে মানববন্ধন, সকাল ১০টায়, প্রবর্তক মোড় এলাকায়।মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব প্রয়াত কাজী ইনামুল দানুর স্মরণসভা, বিকেল সাড়ে তিনটায়, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে পরিষদের কার্যালয়ে।সেভ দ্য চিলড্রেন: সিটি করপোরেশন এলাকা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাগরণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান, সকাল ১০টায়, নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগ: তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের শেষ দিনের কর্মসূচিতে রয়েছে সন্ধ্যা ছয়টায় শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে স্মৃতিচারণা, সাড়ে সাতটায় মিলনায়তনে নাটক এবং রাত নয়টায় বাউলসংগীত।ড্রেসিংরুমে কত ঘটনাই তো ঘটে। সেসব পরে বই লিখে সারা পৃথিবীকে জানিয়ে দেওয়া কি ঠিক?মার্ক টেলরের মতে, মোটেও ঠিক নয়। অন্যায় না হলেও এটা শিষ্টাচারবিরোধী তো বটেই! রিকি পন্টিং নাকি সেই কাজটাই করেছেন, আত্মজীবনীতে তুলে এনেছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমের অনেক গোপন কথা। সে কারণেই পন্টিংয়ের ওপর নাখোশ সাবেক এই অধিনায়ক টেলর। এটা জেনে আবার উল্টো টেলরের ওপরই খেপেছেন পন্টিং। তাঁর দাবি, আত্মজীবনীতে তিনি শিষ্টাচারবিরোধী কিছুই লেখেননি!টেলরের মূল আপত্তির জায়গাটা মাইকেল ক্লার্ককে নিয়ে লেখা অংশটুকু নিয়ে। আত্মজীবনী অ্যাট দ্য ক্লোজ অব প্লেতে পন্টিং লিখেছেন, ক্লার্কের কাছে তিনি অনেক কিছু আশা করতেন। কিন্তু সহ-অধিনায়ক হিসেবে ক্লার্কের সহযোগিতা তেমন পেতেন না তিনি। ম্যাচ শেষ হলে দিনের ভুলগুলো নিয়ে যখন ড্রেসিংরুমে কথা হতো, বেশ চুপচাপ থাকতেন ক্লার্ক। এ ছাড়াও বান্ধবী লারা বিঙ্গলের সঙ্গে ক্লার্কের সম্পর্ক ও দুজনের বিচ্ছেদের পর ২০১০ নিউজিল্যান্ড সফরের মাঝে দেশে ফিরে যাওয়া নিয়েও তাঁর সমালোচনা করেছেন পন্টিং। তবে অস্ট্রেলিয়ান একটি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাত্কারে পন্টিংয়ের এসব লেখার সমালোচনা করেছেন টেলর, ‘আমি খুব হতাশ যে এই ব্যাপারগুলো ড্রেসিংরুমের বাইরে চলে এসেছে। এটা অস্ট্রেলিয়া দলের শিষ্টাচারবিরোধী। কিছু কিছু ব্যাপার ড্রেসিংরুমেই সমাধান করতে হয়।’ এটা জেনে পন্টিং বলেছেন, ‘আমি আমার কথা বলেছি শুধু। বই বিক্রির জন্য এসব লিখিনি। আমি ও রকম মানুষ নই।’ এএফপি।‘একাত্তরে মারি যেমন থুবি থুবি হালাই দিছে। মানুষ না কুত্তা-বিলাই, কোনো দয়া-মায়া নাই। এখনো ঠিক একই অবস্থা।’ বাসে ছুড়ে দেওয়া পেট্রলবোমায় দগ্ধ ভাইপো ওহিদুর রহমানকে দেখতে এসে হতবিহ্বল হাবিবা আক্তার এভাবে বিলাপ করছিলেন। নাম বলে গালি দিচ্ছিলেন নেতা-নেত্রীদের।হাসপাতালের বিছানায় সারি সারি পোড়া বাসযাত্রী দেখিয়ে বলতে থাকেন, ‘এইডা কুন যুগ আইলো বাবা?’ বৃহস্পতিবার শাহবাগে বাসে দগ্ধ ছাত্র ওহিদুর রহমানের ফুফু তিনি।ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে এমন অসংখ্য স্বজন অভিসম্পাত করছেন প্রচলিত রাজনীতির হিংস্রতাকে। সমূলে বিনাশের অভিশাপ দিচ্ছেন এ ধরনের হামলাকারীদের।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অবরোধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর শাহবাগে শিশুপার্কের উল্টো দিকে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা ছোড়া হলে ১৯ বাসযাত্রী পুড়ে যায়। এঁদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় নাহিদ মোড়ল ও গতকাল বেলা তিনটায় রবীন মাতবর নামে দুজন মারা যান। তাঁরা পরস্পর মামাতো-ফুফাতো ভাই।বিহঙ্গ পরিবহনের বাসটি পুরান ঢাকার সদরঘাট থেকে মিরপুরে যাচ্ছিল। দগ্ধ ব্যক্তিদের ১০ থেকে ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।দুপুরে বার্ন ইউনিটের চারতলায় ওয়ার্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন আবদুল কুদ্দুস আর রাজিয়া বেগম। তাঁরা অগ্নিদগ্ধ ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের বাবা-মা। শফিকুলের বাবা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘কী এমন রাজনীতি হইলো। দেশের শিক্ষিত লোকগুলাও পক্ষ নিয়া টক শোতে কথা বলে। আর রাস্তায় আমার ছেলে পুড়ে।’দগ্ধ ব্যবসায়ী আবু তালহার বোন সুলতানা বলেন, ‘মানুষরে পুড়াইয়া মারা কী রাজনীতি? আপনারা কন।’বাসচালক মাহাবুব আলমের স্ত্রী পোশাকশ্রমিক শাহনাজ পারভীন পুরোটা সময়ই থাকছেন স্বামীর শয্যাপাশে। মাঝে মাঝে বের হচ্ছিলেন ছয় বছরের ছেলে শাহীনের খোঁজ নিতে আর চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে। বাইরে বসে মাহাবুব আর শাহনাজের স্বজনেরা মনের ক্ষোভ মেটাচ্ছিলেন গালি দিয়ে। মাহাবুবের ভাই আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, ‘নদীতে ঘরবাড়ি সব নিছে। খাইটা খাই। আমার ভাইডা তো কোনো অন্যায় করেনি। এহন তো সবই গেলো।’‘স্যার’ ডেভিড বেকহাম। নামের আগে এই উপাধিটা বসবে, মনে মনে কোন ব্রিটিশ এটা চান না! এই স্বপ্ন বেকহামও নিশ্চয়ই দেখে আসছিলেন। কিন্তু মিরর-এর কথা সত্যি হলে নিরাশ হতে হচ্ছে সাবেক এই ইংলিশ মিডফিল্ডারকে। প্রতিবারই নতুন বছরের শুরুতে নাইটহুড দেওয়া হয় কয়েকজনকে। এবারের তালিকায় বেকহামের নাম থাকবে, অনেক দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু মিরর জানিয়েছে, বেকহামকে রাখার পক্ষে কমিটির সবাই একমত হতে পারেননি। এই বছরের তালিকা থেকে নাকি তাই বেকহামের নাম কাটা পড়েছে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্মানটা পেতে হয়তো আরও অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে! ওয়েবসাইট। |
ফেনীতে গত শনিবার রাতে বিদেশি মদ, ফেনসিডিলসহ বেলাল হোসেন (৩৪) নামে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।বেলাল হোসেন ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এলাকায় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। র্যাব সূত্র জানায়, শনিবার রাতে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা বেলাল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল, নয় বোতল ভদকা ও আট বোতল হুইস্কি উদ্ধার করেন। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব ফেনী ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আকবর হোসেন ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। বেলালকে ফেনী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক এম আজাহারুল হক বলেন, ‘বেলাল হোসেন নিজের মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপকর্ম চাপা দিতে দিনে আওয়ামী লীগের এবং রাতে বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যবহার করেন।’ ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বেলালের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ছাড়াও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির চারটি মামলা রয়েছে।শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নবজাতকেরই জন্মের পর পর জন্ডিস হতে পারে। ৫০ শতাংশের বেলায় একে বলে স্বাভাবিক জন্ডিস বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ফিজিওলজিক্যাল জন্ডিস। শিশুর যকৃৎ পুরোপুরি কর্মক্ষম হয়ে উঠতে একটু দেরি হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস হয়।নবজাতকের জন্ডিস কেন হয়?কম ওজনে ভূমিষ্ঠ শিশু বা সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুরা জন্ডিসে বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া জন্ডিসের কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলো দায়ী হতে পারে, তা হলো:মা ও শিশুর রক্তের গ্রুপ যদি ভিন্ন হয়।শিশু সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত বুকের দুধ না পেলে, অনেক সময় একে ব্রেস্ট ফিডিং জন্ডিসও বলা হয়।গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনো সংক্রমণের ইতিহাস।শিশু জন্মগত কোনো রোগে আক্রান্ত হলে।জন্মের পর শিশুর রক্তে সংক্রমণ বা সেপটিসেমিয়া।জন্মগতভাবে শিশুর যকৃৎ বা পিত্তথলিতে কোনো সমস্যা ইত্যাদিকীভাবে বুঝবেন জন্ডিস?শিশুর হাতের তালু হলুদ হয়ে গেছে কি না লক্ষ করুন। সাধারণত শিশুর মুখ, হাত ও বুক বা পেটের ওপর পর্যন্ত হলুদ হতে দেখা যায়। মলের রং সবুজ হতে পারে। শিশুর গায়ের রং পরিবর্তিত হতে দেখলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়। রঙের পরিবর্তন বাড়তে দেখলে এই বিলিরুবিন প্রয়োজনে বারবার পরীক্ষা করা যায়।জন্ডিস হলে কি বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে? কোনো অবস্থায়ই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না। শিশুকে নিয়মিত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে ফিজিওলজিক্যাল বা স্বাভাবিক জন্ডিসের মূল চিকিৎসাই হচ্ছে শিশুকে ঠিকমতো বুকের দুধ খাওয়ানো।রোদ চিকিৎসা বা আলো চিকিৎসাবিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণত শিশুকে ফটোথেরাপি বা আলোক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে নবজাতককে আধা ঘণ্টা রোদ পোহাতেও বলা হয়। তবে সূর্যের কড়া রোদ ও অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।কখন সতর্ক হবেন?স্বাভাবিক জন্ডিস সাত দিনের মধ্যেই সেরে ওঠার কথা। এর পরও কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জন্ডিস দেখা দিলে, সাত বা দশ দিনের পরও না সারলে, শিশু খাওয়া বন্ধ করে দিলে বা কমিয়ে দিলে, জ্বর বা সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে, বিলিরুবিনের মাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকলে বা আগের শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে থাকলে অবশ্যই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করুন। শিশুরোগ বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকেরা। নিয়মিত রোগীর সঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার অনেক রোগী একসঙ্গে ভর্তি হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।রোগীর আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক ও পুলিশ পোড়া রোগীদের দেখতে ভিড় করছেন হাসপাতালে। হুড়মুড় করে তাঁরা ঢুকে পড়ছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে। রেহাই পাচ্ছে না নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রও (আইসিইউ)। কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব দর্শনার্থী চিকিৎসায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জানায়, সহিংসতার শিকার ৩১ জন রোগী এই ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার শাহবাগের ঘটনায় ১৮ জন এই ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। ভর্তি আছেন ১৬ জন। এর আগের বিভিন্ন ঘটনায় ভর্তি আছেন ১৪ জন। গতকাল ভর্তি হয়েছেন আরও একজন। তিনি গত পরশু আহত হয়েছিলেন।কর্মরত চিকিৎসা কর্মকর্তা হোসাইন ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, পোড়া রোগীর যন্ত্রণা অন্য রোগীর চেয়ে তীব্র হয়। এসব রোগীর সঙ্গে আত্মীয়স্বজন বা দর্শনার্থী বেশি থাকেন। আর রোগী যদি রাজনৈতিক ঘটনার শিকার হন, তবে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।হাসপাতালের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পোড়া রোগীদের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। রোগীর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দর্শনার্থী হাসপাতালে ঢুকছেন, আর বের হচ্ছেন। এতে রোগীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু দর্শনার্থীদের বোঝানো যাচ্ছে না। দর্শনার্থীরা সুচিকিৎসার বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন।গতকাল সকালে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন রোগীদের দেখতে হাসপাতালে আসেন। তাঁর সঙ্গে থাকা দলীয় লোকজন বিভিন্ন ইউনিটে যান। একই ঘটনা ঘটে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পরিদর্শনের সময়ও। তিনি আসেন দুপুর ১২টার দিকে। তাঁর সঙ্গে জাসদের লোকজন বিভিন্ন ইউনিট ঘোরেন। এসেছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুজিবুর রহমান ফকির, তবে সঙ্গে লোক বেশি ছিল না। এ ছাড়া আছে সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফারদের চাপ। আসেন পুলিশসহ নানা সংস্থার লোকজনও।বেলা সোয়া তিনটায় ওই ইউনিটের বারান্দায় কথা হয় লালবাগ থেকে আসা আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছিলেন আরও ছয় যুবক। তিনি এই প্রতিবেদককে বললেন, ‘আহত মানুষ দেখতে এসেছি। মন খুবই খারাপ।’ তবে আহতদের মধ্যে তাঁর কোনো আত্মীয় নেই।একাধিক চিকিৎসক বলেছেন, জনবল ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অভাবও সুচিকিৎসার অন্তরায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বার্ন ইউনিট যাত্রা শুরু করেছিল ৫০ শয্যা দিয়ে। জনবল ছিল শয্যা অনুপাতে। সম্প্রতি শয্যা বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। কিন্তু সেই অনুপাতে জনবল বাড়ানো হয়নি। প্রতিদিন এই ইউনিটে গড়ে ৩৫০ রোগী ভর্তি থাকেন। ২৪ জন শিক্ষানবিশ নিয়ে মোট ৩৭ জন চিকিৎসক কাজ করেন। নার্স দরকার ১৫০ জন। আছেন ৭০ জন। অন্যান্য স্বাস্থ্যসহকারীও প্রয়োজনের তুলনায় কম।হোসাইন ইমাম বলেন, অন্য তিনজন রোগীর সেবায় যে সময় লাগে, একজন পোড়া রোগীর পেছনে সেই সময় দিতে হয়। তিনি বলেন, একজন পোড়া রোগীর ড্রেসিং করতে গড়ে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। এত রোগীর সেবা দিতে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হয়।বার্ন ইউনিটের তিন, চার ও পাঁচতলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি তলায় বারান্দায়ও রোগী। বিকেল পাঁচটায় ৪১৬ নম্বর কক্ষের সামনের বারান্দায় ভিড় চোখে পড়ে। এই কক্ষে বৃহস্পতিবারের ঘটনার কয়েকজন রোগী আছেন। একজন আনসার ভিড় সামলানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু নানা অজুহাতে দর্শনার্থী ঢুকে পড়ছেন।গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার লালটেকী এলাকা থেকে গতকাল সোমবার মোবারক হোসেন (৩৩) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রীর দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, গত রোববার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি তান কালিয়াকৈর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মোবারক হোসেন। গতকাল ভোরে পাশের লালটেকী গ্রামের একটি আমগাছের ডালের সঙ্গে গলায় রশিতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর লাশ ঝুলতে দেখে গ্রামের লোকজন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।মোবারকের স্ত্রী লাইলী বেগম অভিযোগ করেন, জমির সীমানাপ্রাচীর নিয়ে প্রতিবেশী মো. আজহারদের সঙ্গে মোবারকের বিরোধ চলছে। |
ম্যারাথনের তীর্থক্ষেত্রই বলতে হবে বার্লিনকে! জার্মানির রাজধানীতে ম্যারাথনের বিশ্ব রেকর্ড ভাঙল দশমবারের মতো। এর পাঁচবারই গত এক দশকে। দুই বছর আগে কেনিয়ার প্যাট্রিক মাকাউ ম্যারাথনের সর্বশেষ বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন এখানে। কাল সেই বার্লিনেই সেটা ভেঙে দিলেন মাকাউয়েরই স্বদেশি উইলসন কিপসাং। ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ড সময় করে কিপসাং এখন ম্যারাথনের নতুন রাজা। মাকাউয়ের আগের রেকর্ডটা ছিল ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড।দৌড়ের শুরুতে কিন্তু পিছিয়ে ছিলেন কিপসাং। শেষ ১০ কিলোমিটারে দুর্দান্ত দৌড়ে বাকিদের পেছনে ফেলেন। লন্ডন ২০১২ অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ী এই ম্যারাথনার পরে বলেছেন, ‘শেষ কয়েক কিলোমিটারে খুবই সতেজ মনে হচ্ছিল নিজেকে। আমার পরিকল্পনাই ছিল শেষ দিকে গিয়ে পুরোটা ঢেলে দেওয়া। আমি জানতাম এটা কঠিন হবে। আমি খুবই খুশি যে আমি জিতেছি ও বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছি। এখানে এই প্রথম দৌড়ালাম। দারুণ ব্যাপার। শহরটাও দারুণ। আমার খুবই ভালো লাগছে।’ এএফপি, রয়টার্স।২ ঘণ্টা ৪ মিনিট ৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন কেনিয়ারই ইলিউদ কিপচোগে। তৃতীয় হয়ে (২ ঘণ্টা ৬ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড) কেনিয়াকে তিনটা পদকই এনে দিয়েছেন জেফরি কিপসাং।শিশুরা মারামারির পরপরই সঙ্গীটির সঙ্গে ঝগড়া মিটিয়ে ভাব করে নিতে পারে। কিন্তু কিছু শিশুর আক্রমণাত্মক প্রবণতা অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। প্রায় নিয়মিত মারামারিতে অংশগ্রহণ করে এমন শিশু একধরনের মানসিক রোগে (কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডার) আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।বিভিন্ন সমস্যা অন্যদের ঠিকমতো বোঝাতে না পারলে, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগলে, বাবা-মায়ের প্রতি রাগ বা অভিমান হলে অথবা তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য শিশুরা নানা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করতে পারে। এ ছাড়া টিভিতে মারামারি ও হিংসাত্মক কার্টুন বা অনুষ্ঠান বেশি দেখলে বা পরিবারিক নির্যাতন নিয়মিত প্রত্যক্ষ করলে শিশুর মনোজগতের বিরাট ক্ষতি হয়। পরিণামে শিশুটি হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।এসব ক্ষেত্রে শিশুকে ভালোমন্দ বুঝিয়ে বলুন, আচরণ পরিবর্তনের সুযোগ দিন। সে কোনো মানসিক চাপে রয়েছে কি না, জানার চেষ্টা করুন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।ঢাকার সাভারের সিঞ্জুরিয়া এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নূর এ জামাল (২২) নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের পর তাঁর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে শিবিরের সন্ত্রাসীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নূর এ জামাল সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং আশুলিয়ার মনোহর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য।পরিবার সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার বোয়ালিয়া পাড়ার জাফর নামের বিএনপির এক নেতা নূর এ জামালকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। তাঁরা সিঞ্জুরিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত যাওয়ার পর সেখানে ওত পেতে থাকা কয়েকজন যুবক নূর এ জামালকে কুপিয়ে জখম করেন। একপর্যায়ে নূর এ জামাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাঁর হাত-পা বেঁধে রগ কাটার উদ্দেশ্যে দুই পায়ের গোড়ালির ওপর চাপাতি দিয়ে কোপ দেন। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।ছাত্রজীবনে খেলাধুলা যে ভীষণ প্রয়োজনীয়, তা তুলে আনল সাম্প্রতিক এক জরিপ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটির ফুড অ্যান্ড ব্র্যান্ড ল্যাবের গবেষক ব্রায়ান ওয়ানসিঙ্ক ও জুরিখের সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজির নারী গবেষক সিমোন ডোলে একটা জরিপ চালিয়ে দেখিয়েছেন, হাইস্কুলে যারা খেলাধুলা করে, বৃদ্ধ বয়সেও তারা দারুণ স্বাস্থ্যবান থাকে। ঘন ঘন চিকিৎসকের কাছে ছুটে যেতে হয় না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৭১২ জন প্রবীণের ওপর চালানো হয় এই জরিপ। তাঁদের মধ্যে যাঁরা বেশি সুস্থ, তাঁদের অধিকাংশই ১৯৩০ ও ১৯৪০-এর দশকের শুরুর দিকে হাইস্কুলে খেলাধুলা করেছেন। ওয়েবসাইট। |
চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদ এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. লিটন (৩২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। লিটনের বাবার নাম তাজুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর বলে জানা গেছে। লিটন কী কাজ করতেন, তা জানা যায়নি।নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থল চাষাঢ়ায় খাজা সুপার মার্কেটের পূর্ব পাশে সিটি করপোরেশনের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ জমি বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান (বিকেএমইএ) প্রাচীর নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে বলে জানা গেছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাষাঢ়ায় খাজা সুপার মার্কেটের পূর্ব পাশে নবাব সলিমুল্লাহ রোডে বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য মঞ্জুরুল হক সভাপতি থাকাকালে বিকেএমইএর তহবিল থেকে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ জমি কেনেন। জমিতে ঢোকার কোনো নিজস্ব রাস্তা না থাকায় মালিক জমিটি বিকেএমইএর কাছে বিক্রি করেন।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেলিম ওসমান বিকেএমইএর সভাপতি হন। বিকেএমইএর ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ জমির সামনের ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে রাজউক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মধ্যে মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। মূল রাস্তা থেকে সিটি করপোরেশনের জমির ওপর দিয়ে বিকেএমইএর জমিতে যেতে হয়। ২০১২ সালে বিকেএমইএ সিটি করপোরেশনের দখলে থাকা ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করে।সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিকেএমইএর নিজস্ব জমি ও বিরোধপূর্ণ ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ জমিসহ মোট ২৫ শতাংশ জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটপাতের কয়েকজন দোকানদার জানান, বিকেএমইএর নিরাপত্তা প্রহরীরা জমিটি পাহারা দেন। ফটকের তালার চাবিও তাঁদের কাছেই থাকে।নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, রেকর্ড অনুযায়ী জমিটির মালিক নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা (বিলুপ্ত)।পাকিস্তান আমলের আইয়ুব খান ক্ষমতায় থাকাকালে রাজউক জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করেছিল। অধিগ্রহণকৃত জমির কিছু অংশে রাজউক ডিআইটি মার্কেট নির্মাণ করে। বাকি জমি অব্যবহূত পড়ে থাকে। এরশাদের শাসনামলে রাউজক ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে তাদের পাকিস্তান আমলে অধিগ্রহণকৃত অব্যবহূত জমি ফিরিয়ে দিলেও নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা তাদের জমি বুঝে পায়নি।২০০৭ সালে রাজউক এসব জমি প্লট আকারে বিক্রির জন্য দরপত্র দেয়। জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার কাছ থেকে অধিগ্রহণকৃত জমি বাণিজ্যিক প্লট হিসেবে বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং মালিকানা দাবি করে হাইকোর্টে মামলা করে পৌরসভা। মামলা করায় রাজউক জমিটি বিক্রি করতে পারেনি।এর পর থেকেই জমিটি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার (বিলুপ্ত) দখলে রয়েছে। ২০১০ সালে বিকেএমইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন এক বছরের জন্য জমিটি বিকেএমইএকে ভাড়া দেয়। ২০১২ সালে সেলিম ওসমান বিকেএমইএর নামে মূল্যবান জমিটি দখলে নেওয়ার জন্য অবৈধভাবে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেন। জমিটি সেলিম ওসমানের অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করার জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সেলিম ওসমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ জমির মালিক সিটি করপোরেশন নয়, রাজউক। বাজারমূল্যে ওই জমিটি কেনার জন্য রাজউকের কাছে আবেদন করেছে বিকেএমইএ। তবে এখনো এটি তারা বিকেএমইএর কাছে বিক্রি করেনি।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ২০১৩ সালে বিভিন্ন বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সেরা প্রতিবেদনের জন্য ১১ জন প্রতিবেদককে পুরস্কার দিয়েছে।গতকাল শুক্রবার সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ‘ডিআরইউ রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।এ বছর প্রথম চালু করা সাগর-রুনী স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন দি ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার জুলফিকার আলী, রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে শিক্ষাবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য প্রথম আলোর শরিফুজ্জামান, নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য পথিক সাহা স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন কালের কণ্ঠের কাজী হাফিজ, দৈনিকসমকাল পত্রিকার সৌজন্যে রাজনীতিবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য গৌতম দাস স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর সেলিম জাহিদ, নাভানা গ্রুপের সৌজন্যে বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য আলোকিত বাংলাদেশ-এর রিয়াজউদ্দীন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সৌজন্যে নগরের সমস্যা ও সম্ভাবনাবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য ভোরের কাগজ-এর পরিমল সাহা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য শহীদজায়া হাসনা হেনা কাদির স্মৃতি পুরস্কার ভোরের কাগজ-এর ঝর্ণা মনি, অর্থনীতিবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর-এর মজুমদার বাবু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সৌজন্যে নগরের সমস্যা ও উন্নয়নবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য এনটিভির রোকনউদ্দীন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সৌজন্যে মানবিক প্রতিবেদনের জন্য চ্যানেল আইয়ের মোস্তফা মল্লিক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সৌজন্যে উন্নয়ন ও সম্ভাবনাবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য দ্য রিপোর্ট ২৪ ডটকমের আবু হানিফ।পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. সবুর খান, ডিআরইউর প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক পথিক সাহার বড় ভাই প্রণয় সাহা, ডিআরইউর সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদসহ সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে ডিআরইউর বার্ষিক সাধারণ সভা হয়। আজ শনিবার সকাল নয়টা থেকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকালে আবারও পৌর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পৌরবাসী। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা কর কমানোর দাবিতে মেয়রের কাছে সঞ্চারকলিপি পেশ করেন।সমাবেশে স্থানীয় আদমপুর বাজার কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন মিয়া, ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন শিকদার, পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ শিকদার, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আহমেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।সভায় বক্তারা বলেন, এ বছর পৌর কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কর চার থেকে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করে পৌরসভার বাসিন্দাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। যাঁরা কর দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, পৌরসভার সংশিষ্ট শাখা তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করছে। কর পরিশোধের প্রত্যয়নপত্র ছাড়া জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স ও নাগরিকত্ব সনদ দেওয়া হয় না।বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে পৌর এলাকার অনেক মানুষই কৃষিজীবী। পৌর কর্তৃপক্ষ কর বৃদ্ধি করলেও পৌর সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নালা না থাকায় বর্ষায় মারাত্মক জলাবদ্ধতায় হয়। কিছু এলাকায় এখনো পানি সরবরাহের ব্যবস্থা ও সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এ অবস্থায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কর কমানো না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বক্তারা হুশিয়ার করেন।সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিলেই কর কমানো হবে। |
কে ভাবতে পেরেছিল এমনটা হবে? ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নয়, ম্যানচেস্টার সিটি নয়, চেলসি বা টটেনহামও নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এখন সবার ওপরে আর্সেনাল। শিরোপা পাবে কি না সেটা অনেক পরের প্রশ্ন, তবে এ মুহূর্তে যেমন খেলছে তাতে লন্ডনের ক্লাবটি এবার যেতে পারে অনেক দূর।কোন জাদুর কাঠি এমন বদলে দিল আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলকে? মেসুত ওজিল আসার পরই যেন দেখা যাচ্ছে অন্য রকম এক আর্সেনালকে। পরশু সোয়ানসির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে ওজিল সেভাবে কিছু করেননি। অ্যারন রামসে যেমন খেলছেন, তাতে অবশ্য গোলের জন্য অপেক্ষায় থাকার দরকার নেই। চার গোল করে এই মিডফিল্ডার যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। কাজোরলা, ওয়ালকটদের অনুপস্থিতিটা বুঝতে দিচ্ছেন না একেবারেই। জার্মান উইঙ্গার নাবরির প্রথম গোলের পর আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করে দেওয়া গোলটা করেছেন ওই রামসেই।অথচ তিন বছর আগে ক্যারিয়ারটাই শেষ হতে বসেছিল রামসের। স্টোকের রায়ান শক্রসের ভয়ংকর এক ট্যাকলে পা ভেঙে গিয়েছিল। আট মাসের জন্য চলে যান মাঠের বাইরে। এরপর সেভাবে থিতু হতে পারেননি দলে। কিন্তু এই মৌসুম থেকেই নিজেকে নতুন করে চেনাতে শুরু করেছেন।আর্সেনালের দীর্ঘ শিরোপা-খরা কি ঘুচবে এবার? ওয়েঙ্গারের সতর্ক প্রতিক্রিয়া, ‘মৌসুমের মাত্রই শুরু। আমরা আজ একটা ভালো সুযোগ পেয়েছি। আমার মনে হয় দল কেমন সেটা নির্ভর করবে আপনি সুযোগটা নিতে পারেন কি না। আজ (পরশু) আমরা সেটা নিতে পেরেছি।’নিজেদের জয় তো আছেই, ওয়েঙ্গারের জন্য পরশুর রাতটা আরও আনন্দময় গেছে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর হোঁচটে। সিটি ৩-২ গোলে হেরেছে অ্যাস্টন ভিলার কাছে, আর ইউনাইটেড তো নিজেদের মাঠেই ২-১ গোলে হেরেছে ওয়েস্ট ব্রমের কাছে।৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট, পয়েন্ট তালিকার ১২ নম্বরে—সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে এর চেয়ে বাজে শুরু হয়েছিল ইউনাইটেডের। ইউনাইটেড এ ম্যাচে কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে পারত না। কোচ ডেভিড ময়েস সেটা করেনওনি, ‘আমরা নিজেদের খেলা খেলতে পারিনি। জয়টা ওয়েস্ট ব্রমের প্রাপ্য। এ নিয়ে কোনো সন্দেহই নেই। আমরা খুবই খারাপ খেলেছি।’ ময়েস কি ফার্গুসনের শরণ নেবেন?যে কাজটা পেলেগ্রিনিরও করা উচিত মানচিনির সঙ্গে। ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে হারানোর পরের ম্যাচেই অ্যাস্টন ভিলার কাছে এমন হার সিটি কাছে নিতান্তই অপ্রত্যাশিত ছিল। পেলেগ্রিনি তো রীতিমতো স্তম্ভিত, ‘আমরা যেভাবে ম্যাচটা হেরেছি সেটা অবিশ্বাস্য। আমরা দুবার এগিয়ে গিয়েছিলাম, ম্যাচটা আমাদের হাতেই ছিল।’কাল সান্ডারল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে লিভারপুল। লুইস সুয়ারেজ ২টি ও ড্যানিয়েল স্টারিজ করেছেন ১টি গোল। এএফপি, রয়টার্স।এ ম্যাচের হারে সিটির ক্ষতি হয়েছে আরেকটা। বায়ার্নের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসটা একেবারেই নড়বড়ে হয়ে পড়ল তাদের। জার্মান ও চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়নরা অবশ্য পরশু ভলফ্সবুর্গকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। কিন্তু গার্দিওলা সন্তুষ্ট নন দলের খেলায়, ‘আমরা জিতেছি, তবে এখনো অনেক উন্নতির সুযোগ আছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেগুলো শোধরাতে হবে। আমি নিশ্চিত সিটি ও লেভারকুসেনের বিপক্ষে ভালো খেলব।’ সিরি ‘আ’তে গোরান পান্দেভের দুই গোলে জেনোয়াকে হারিয়ে শীর্ষে নাপোলি। সাম্পদোরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্বস্তির জয় পেয়েছে ধুঁকতে থাকা এসি মিলান। জুভেন্টাস কাল তুরিন ডার্বিতে ১-০ গোলে হারিয়েছে তুরিনোকে।শুধু লিওনেল মেসি বলেই কথাটা আসছে। অন্য কেউ হলে হয়তো ব্যাপারটা নজরেই পড়ত না।চোট কাটিয়ে ফিরে আসার পর লা লিগায় টানা তিনটি ম্যাচ খেললেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। গোল নেই! এএফপি।টানা তিন ম্যাচ মেসি গোলহীন—গত দুই বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। কিছুটা আশ্চর্যজনক তো বটেই! মেসি-ভক্তদের জন্য হয়তো দুশ্চিন্তারও। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে পরশু রাতের ম্যাচেও যে নিজের তুলনায় কিছুটা ম্লান ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার।তবে বার্সেলোনা তারকার নিজের ফর্ম যেমনই হোক, তাঁর দল রীতিমতো উড়ছে। মেসি থেকেও নীরব, একাদশে নেই হাভিয়ের মাচেরানো, জাভি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, নেইমার আর জেরার্ড পিকেরা। কিন্তু সেই অভাব পুষিয়ে দিয়েছেন অ্যালেক্সিস সানচেজ, সেস্ক ফ্যাব্রিগাসরা। এই দুজনের গোলের সঙ্গে সেল্টা ভিগো গোলরক্ষকের আত্মঘাতী গোল মিলিয়ে ব্যালাইদোস স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা খুব সহজেই জিতেছে ৩-০ গোলে। লিগে ৬ ম্যাচ নিজেদের জালে বল ঢুকতে দেয়নি বার্সা, বলা ভালো, ঢুকতে দেননি গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেস। ১১ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষস্থান ধরে রাখাটাও নিশ্চিত করেছে জেরার্ডো মার্টিনোর দল।লা লিগায় কাতালানদের জয়ের রাতে আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইংলিশ লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে চেলসি। হাভিয়ের হার্নান্দেজের জোড়া গোলে সোয়ানসি সিটির বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জিতে শেষ আট দলের লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও।প্রিমিয়ার লিগে আগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল চেলসির যে দলটা, তাদের মধ্যে শুধু গ্যারি ক্যাহিলই ছিলেন আর্সেনালের বিপক্ষে একাদশে। তবে হুয়ান মাতা ও সিজার আজপিলিকুয়েতা গোল করে বুঝিয়েছেন চেলসির রিজার্ভ বেঞ্চও কম শক্তিশালী নয়। লিগ কাপের চতুর্থ রাউন্ড থেকে বিদায় হয়ে যাওয়া আর্সেনাল কোচ সঙ্গে নিয়ে গেছেন আরেকটা আক্ষেপও। এই নিয়ে মোট নয়বার চেলসি কোচ হোসে মরিনহোর মুখোমুখি হলেন তিনি।স্বঘোষিত স্পেশাল ওয়ান কোচের বিপক্ষে জয়টা এখনো অধরাই রয়ে গেল ওয়েঙ্গারের!বাংলাদেশ ২০১৪-১৫ দ্বিবার্ষিক মেয়াদে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবিষয়ক সংস্থার (আইএমও) ‘বি’ ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। আইএমওর ২৮তম দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার পঞ্চম দিনে গতকাল শুক্রবার সংস্থার লন্ডনের প্রধান কার্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা বলা হয়।বাংলাদেশ ছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরিতে কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্র হলো আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও সুইডেন। বিজ্ঞপ্তি।২০০৪ সালে সুনামি তহবিলে এক কোটি ডলার দান করেছিলেন মাইকেল শুমাখার। এই অর্থ অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে তো বটেই, অনেক দেশের সাহায্যের চেয়েও বেশি ছিল। |
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ৫২টি টিকিটসহ এক দালালকে গতকাল রোববার রাত ১০টায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মশিউর রহমান ওরফে রনি। এ সময় তার কাছ থেকে টিকিট বিক্রির ৮৬ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াছিন আরাফাত মজুমদার বলেন, ‘মশিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে রেলের টিকিট নিয়ে চড়া দামে বাইরে বিক্রি করে আসছে।’প্রশ্ন: মৃগীরোগ কি একটি মানসিক রোগ?উত্তর: মৃগী মানসিক রোগ নয়। মৃগীরোগ হচ্ছে স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ। মস্তিষ্কের অতি সংবেদনশীলতা ছাড়াও এ রোগে নানা কারণে খিঁচুনি হতে পারে। যেমন: মস্তিষ্কে টিউমার, স্ট্রোক, মাথায় আঘাত ও রক্তপাত, রক্তশিরায় সমস্যা, সংক্রমণ, মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, মানসিক প্রতিবন্ধকতা, আলঝেইমার, বিভিন্ন ওষুধ, শরীরের লবণ, ভিটামিন বা খনিজ পদার্থের ভারসাম্যহীনতা এবং ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তের শর্করার আধিক্য বা স্বল্পতা থেকেও মৃগীরোগ দেখা দিতে পারে। ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস।দুই দলই পাচ্ছে শিরোপার সুবাস। অষ্টম রাউন্ড শেষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে শীর্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সুলতানা কামাল স্মৃতি পাঠাগার। আজ এই দুই ক্লাবের মধ্যকার জয়ী দলই জিতবে প্রথম বিভাগের শিরোপা। কাল অষ্টম রাউন্ডে ফায়ার সার্ভিস ৩.৫-০.৫ পয়েন্টে ডেসটিনি ২০০০-কে, সুলতানা কামাল ৪-০ পয়েন্টে মহাখালী প্রদীপ সংঘকে হারিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী ব্যাংকের পয়েন্ট ১৩। কাল তারা ২.৫-১.৫ পয়েন্টে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংককে।ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরীর খুনিদের শনাক্ত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।গতকাল সোমবার কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কোন্ডার দোলেশ্বর এলাকায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।সভায় নিহত ব্যক্তিরর ছেলে ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘কোন্ডা এলাকায় আমার বাবার জনপ্রিয়তা ছিল বিধায় দুষ্কৃতকারীরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে। অবিলম্বে আমার বাবার প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, বিজয়ের মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে মূল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক।কোন্ডা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শুভাঢ্যা ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, কোন্ডা ইউপির সদস্য গুলশানা আরা প্রমুখ।১১ ডিসেম্বর কোন্ডা ইউনিয়নের ১০ শস্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পেছনের একটি কাশবন থেকে আতিক উল্লাহর হাত বাঁধা অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতআতিক উল্লাহর ছেলে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মাত্র একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। |
নাটোরের সিংড়ায় সিধিখালী বিলের মাথায় একটি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই সেটি ভেঙে পড়ছে। এদিকে ওই ভাঙা সেতুর নামকরণ নিয়েই তোড়জোড় শুরু করেছেন স্থানীয় সাংসদ। অথচ সেতুটি নির্মিত হচ্ছে সরকারি টাকায়।নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া ও সাংসদ জুনায়িদ আহমেদ তাঁর বাবার নামে সেতুর নামকরণ করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।সেতু এলাকার খেয়া নৌকার মাঝি আবদুর রহিম বলেন, ‘পলক ভাই (সাংসদ জুনায়িদ) ব্রিজ করি দিচ্ছে এতে আমরা খুব খুশি। তবে তিনি নামকরণ লিয়া ব্যস্ত না থ্যাকি তাড়াতাড়ি ভালো করি ব্রিজটা শেষ করলে আমরা আরও খুশি হতাম।’নাটোর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সূত্র জানায়, সিংড়ার শেরকোল ইউনিয়নের সিধিখালী বিলের মাথায় আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করছে এলজিইডি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১১ সালের ২৩ মে। চার কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের ১২ মে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৫২০ ফুট দীর্ঘ ও ১৮ ফুট চওড়া এই সেতুর সাতটি গার্ডারের মধ্যে পাঁচটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।তবে নির্মাণ ত্রুটির কারণে আগস্টের শুরুতে সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর গার্ডারের মধ্যে ডেস্ক স্ল্যাব (মেঝে) ভেঙে পড়ে। তদন্ত শেষে নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারকে লিখিতভাবে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সেতুর রডসহ অন্যান্য উপকরণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগও শেষ হচ্ছে না। তাঁরা নৌকায় করে সেতু এলাকায় যাতায়াত করছেন। এই অবস্থায় সাংসদ (নাটোর-৩) জুনায়িদ আহমেদ সেতুর নামকরণ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তড়িঘড়ি করে তিনি সেতু এলাকায় গিয়ে ২৭ আগস্ট তাঁর বাবা মৃত ফয়েজ উদ্দিনের নামে সেতুর নামফলক উন্মোচন করেন। শ্বেতপাথরের ওই নামফলকটি ইতিমধ্যে সেতুর পূর্ব প্রান্তের ১ নম্বর গার্ডারে সংযুক্ত করা হয়েছে।সেতুর ঠিকাদার আইয়ুব খান বলেন, ‘বিলের পানির অত্যধিক স্রোতের কারণে নির্মাণকাজ কিছুটা দেরি হয়েছে। আর ধসে পড়ার জন্য নির্মাণকাজের কোনো ত্রুটি ছিল না। স্রোতের তোড়ে প্রতিরক্ষা স্থাপনা সরে যাওয়ায় ডেস্ক স্ল্যাব পড়ে যায়। এ কারণে প্রকৌশলীদের পরামর্শে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে আবার শুরু করব।’সাংসদ জুনায়িদ আহমেদ বলেন, ‘আমার বাবা এই এলাকার একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি এখানে সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন মহলে অনেক চেষ্টা-তদবির করেছেন। আমি সন্তান হিসেবে তাঁর চেষ্টা সফল করেছি। এ কারণে এলাকাবাসীর অনুরোধে তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। যথাযথভাবে সেতুর কাজ শেষ করার জন্য আমার খেয়াল রয়েছে। এটা নিয়ে এলাকাবাসীর আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।’১৩ সেপ্টেম্বর সেতু এলাকায় গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে সাংসদের বিরুদ্ধে নাম প্রকাশ করে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘সাংসদ নিজের টাকায় বাবার নামে সেতু করলে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। আর নামকরণ করার মতো তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ছিলেন না। এই সেতু নির্মাণের পেছনে তাঁর কোনো অবদানও ছিল না।’এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নামকরণের ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে পারব না। তবে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও কিছু সময় লাগবে। নির্মাণকাজে আর কোনো ত্রুটি না রেখে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছি।’মাত্র ১২ ইঞ্চি লম্বা হাঙর প্রজাতি ‘মিনি শার্ক’। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, এরা ২৫ কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছিল। কিন্তু গবেষকেরা এবার বলছেন, আরও ১২ কোটি বছরের বেশি সময় টিকে ছিল প্রাগৈতিহাসিক হাঙরের প্রজাতিগুলো। ফ্রান্সের মঁপলিয়ে শহর থেকে পাওয়া ছোট হাঙরের ছয়টি দাঁতের জীবাশ্ম (ফসিল) গবেষণায় ১৩ কোটি ১৫ লাখ বছর আগে হাঙরগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন। নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকী জানায়, ২৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে একটি মাত্র মহাদেশ ছিল। তখন বড় ধরনের প্রাকৃতিক পরিবর্তন বা বিপর্যয়ের কারণে পৃথিবীর ৯৫ শতাংশ জলজ ও ৭০ শতাংশ স্থলজ প্রাণী প্রজাতি বিলুপ্ত (গ্রেট ডাইং) হয়। ছোট হাঙরগুলো সম্ভবত গভীর সমুদ্রে গিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করেছিল। এএফপি।প্রাইম ব্যাংক জেলা ফুটবল লিগে মানিকগঞ্জে দশরা নবজাগরণ সংসদ ৫-১ গোলে ড্রাগন স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছে। জয়ী দলের লিটন, রায়হান, বাবলু (১), বাবলু (২) ও কাঁকন ১টি করে গোল করেছেন। ড্রাগন স্পোর্টিং ক্লাবের একমাত্র গোলদাতা পাখি।বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠক করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল সোমবার রাতে আটক হন ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। এর আগের দিন দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার পরপরই গ্রেপ্তার হন আরেক ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তাঁকে ঢাকার বাংলামোটরে পুলিশ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়। এ মামলায় গতকাল তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বিএনপি বলছে, যখনই কোনো নেতাকে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেওয়া হয়, তখনই তাঁকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। এর আগে বিএনপির মুখপাত্র ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দুই দফা গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি পরে জামিনে বের হলেও এখন গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশির ভাগই পুলিশের ধরপাকড়ের মুখে আত্মগোপনে আছেন।মির্জা ফখরুল আত্মগোপনে যাওয়ার পর দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পান যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে লম্বা সময় ধরে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের হননি। সেখানে থেকেই দলের বক্তব্য ও কর্মসূচি গণমাধ্যমে তুলে ধরছিলেন। গত ৩০ নভেম্বর ভোরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রিজভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই দিনই তাঁকে ধরার জন্য তাঁর বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তিনি আত্মগোপনে গিয়ে কয়েক দিন অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দলীয় বক্তব্য ও কর্মসূচি দেন।এরপর কয়েক দিন গণমাধ্যমে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনিও এখন আত্মগোপনে চলে গেছেন।এভাবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ১৬ জন কারাগারে আছেন। বাকি নেতাদের অধিকাংশই আত্মগোপনে। যাঁদের গ্রেপ্তারের আশঙ্কা কম, কেবল তাঁরাই প্রকাশ্যে রয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেন, বিএনপিতে থাকা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও আইনজীবী নেতাদের গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা তুলনামূলক কম বলে মনে করা হয়। এই দুই ঘরানার নেতাদের এখন প্রকাশ্যে দেখা যায়। যদিও গত রোববার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে এবং তার আগে ২৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতারা দাবি করেন, ২৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর টানা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে দলের প্রায় ছয় হাজার নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন। পরে তাঁদের অনেকে ছাড়াও পেয়েছেন। এরপর ঢাকা অভিমুখে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণার পর আটক হয়েছেন আরও প্রায় দেড় হাজার জন। তবে তাঁদের সবাই বিএনপির কর্মী নন; সাধারণ মানুষও আছেন অনেক।তবে এ মুহূর্তে সারা দেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির মোট কতজন নেতা কারাগারে আছেন, সে সম্পর্কে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরের কারও কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে দলটির দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, গত এক মাসে বিভিন্ন মামলায় ৫০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিপুলসংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় নেতা-কর্মীরা সবাই গ্রেপ্তার-আতঙ্কে থাকেন। কেননা, কাউকে সামনে পেলেই পুলিশ আটক করে ওই সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে।কারাবন্দী ১৬ নেতা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারজন নেতা এখন কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁরা হলেন: মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং আ স ম হান্নান শাহ। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু ও মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ১২ জন নেতা এখন কারাগারে আছেন। তাঁরা হলেন: ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, শমসের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য বেলাল আহমেদ, রওশন আরা ফরিদ ও সাংসদ শাম্মী আক্তার।এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বজলুর করিমকে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।হরতাল-অবরোধের সময় করা মামলার বাইরে অন্য মামলায় আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা কারাবন্দী আছেন।এ ছাড়া ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি দেওয়ার পর দুই দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কার্যত গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ যাঁকে পাচ্ছে তাঁকেই গ্রেপ্তার করছে। কাউকে দলের কোনো দায়িত্ব দেওয়া মাত্রই তাঁকে ধরার জন্য পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, কেউ সেখানে গেলেই আটক করা হয়। তিনি বলেন, অনেক সময় কৌশলগত কারণে অনেক নেতাকে আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে। |
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় যুবলীগের এক নেতার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে কয়েক শ মানুষ গতকাল রোববার বিকেলে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের টেঙ্গামাগুর নামক স্থানে অবরোধ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় সাধারণ মানুষ।এলাকাবাসীর কয়েকজন অভিযোগ করেন, খরনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাকসুদুর রহমান ওরফে বাবুর নেতৃত্বে গত শনিবার রাতে লটাগাড়ি গ্রামের মুঞ্জুর হোসেনের প্রায় এক বিঘা জমির বেগুনগাছ উপড়ে ও কেটে ফেলা হয়। এ সময় খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি রাতেই শাজাহানপুর থানায় জানালে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী গত রোববার দুপুরের দিকে মাইকিং করে স্থানীয় স্কুলমাঠে লোকজনকে জড়ো করে। এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে তারা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে। খবর পেয়ে আধঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।খরনা ইউপির সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, গুলির শব্দ শোনার পরপরই শাজাহানপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। তিনি আরও জানান, ওই নেতা দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এ ব্যাপারে মাকসুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।শাজাহানপুর থানার ওসি মাহমুদুল আলম জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জন্মভূমি নয়, অনেক দোটানার পর শেষ পর্যন্ত বর্তমান ঠিকানা স্পেনের হয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিয়েগো কস্তা। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনকে লেখা এক চিঠিতে সে রকম ইচ্ছার কথাই তিনি জানিয়েছেন।এর আগে গায়ে দুবার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তোলা ২৫ বছর বয়সী স্ট্রাইকার এবার স্পেনের হয়ে খেলার ইচ্ছার কথা জানান। স্পেন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কও দলে নিতে আগ্রহ দেখান অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকারকে। কিন্তু গত সপ্তাহেই লুইস ফেলিপে স্কলারির ব্রাজিল দলে ডাক পান। একটা সিদ্ধান্ত তাই খুব দ্রুতই নিতেই হতো কস্তাকে। তবে যেমনটা অনুমান করা গিয়েছিল, নিরাশ করেছেন স্বদেশকে।তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্কলারি ক্ষোভটা আড়াল করেননি, ‘ব্রাজিলিয়ান হয়েও ব্রাজিলের জার্সি পরা ও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ যে প্রত্যাখ্যান করে সে এমনিতেই দলে থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে খেলতে পারাটা অনেকের জন্যই স্বপ্ন। সেই সুযোগটা সে পায়ে ঠেলেছে।’ব্রাজিল ফেডারেশন সভাপতি হোসে মারিয়া মার্টিন বেশি ক্ষুব্ধ। বলেছেন, কস্তা যাতে স্পেনের হয়ে খেলতে না পারেন সে জন্য যা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা তাঁরা নেবেন। রয়টার্স।১৯০১ সালে বুয়েনস এইরেসে রিভার প্লেট নামাঙ্কিত কনটেইনার বহন করে এনেছিল একটি ইংলিশ জাহাজ। নামটা খুব পছন্দ হওয়ায় পুয়ের্তো রোসালেজ ক্লাবের কর্মকর্তা পেদ্রো মার্টিনেজ দলের নামই পাল্টে ফেলেন।হকি, বাস্কেটবলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলোয়াড়দের খেলানো যায়। কিন্তু ফুটবলে বদলি নামানো যায় মাত্র তিনজন। দুই দিন আগে দুবাইতে হয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সম্মেলনে পেপ গার্দিওলা দাবি তুলেছেন এই নিয়মটা বদলানো হোক। বায়ার্ন মিউনিখ কোচের মতে, ফুটবলে আরও বেশি বদলি দরকার। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘এতে কোচদের আরও বেশি বিকল্প থাকবে। একই সঙ্গে কোচরা ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড় নিয়ে নানা কৌশল পরখ করে দেখতে পারবেন।’ ফিফার বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, সাতজন খেলোয়াড়কে বদলি তালিকায় রাখা যায়। এর মধ্যে মাঠে নামার সুযোগ পান তিনজন।রাশিয়ার ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলোর প্রস্তাব বাস্কেটবল বা বেসবলের মতো ফুটবলেও ‘টাইম-আউট’ দেওয়া হোক। ক্যাপেলোর মতে, ‘বেঞ্চ থেকে খেলোয়াড়দের কোনো বার্তা দিতে অসুবিধা হয়। তাই দুই মিনিটের একটা টাইম-আউট হলে ম্যানেজারের জন্য সেটা ভালো হবে।’ ক্যাপেলোর মতো একই প্রস্তাব করেছেন জুভেন্টাস কোচ আন্তোনিও কন্তেও।কিন্তু ফিফা কি গার্দিওলা বা ক্যাপেলোর প্রস্তাবে সায় দেবে? ওয়েবসাইট। |
গত বছর বয়সভিত্তিক সাঁতারে জিতেছিল মাত্র ২টি সোনা। এবার ১৫-১৭ বছর বালিকা বিভাগে ২টি রেকর্ডসহ ৮টি সোনা, ৩টি রুপা ও ১টি ব্রোঞ্জ জিতেছে মরিয়ম খাতুন। এমন সাফল্যে নিজেই বিস্মিত বগুড়ার কিশোরী পদকগুলো নিয়ে বারবার এভাবে দেখছ কেন?|মরিয়ম খাতুন: আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না এতগুলো পদক জিতেছি। পুকুরে সাঁতার কেটে এসে এখানে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছি। সবকিছু কেমন স্বপ্নের মতো লাগছে। আনন্দে আজ রাতে ঘুম হবে না (হাসি)। কোচ মাসুদ রানার জন্যই আমার এই সাফল্য। ওনার কারণে এবার এতগুলো পদক পেলাম। বগুড়ায় কোথায় অনুশীলন করো?মরিয়ম: আমরা বগুড়ার পৌরপার্ক পুকুরে অনুশীলন করি। পুকুরে কোনো লেন নেই, স্টার্টিং ব্লক নেই। টার্নিং করতে পারি না ঠিকমতো। পুকুরে সাপ-ব্যাঙ ভর্তি। একবার তো আমাকে সাপে কামড়ে দিয়েছিল। খুব ভয় পেয়েছিলাম। এরপর সবাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জানেন, পানিতে নামতে না পারলে মোটেই ভালো লাগে না আমার। তাই সাপের কামড় খেয়েও সাঁতারটা ছাড়িনি। সাপের কামড় খেয়েও সেই পুকুরেই অনুশীলন করো?মরিয়ম: আমাদের তো অনুশীলনের আর জায়গা নেই। তাই ওখানেই বাধ্য হয়ে অনুশীলন করি। কিন্তু এই পুকুরে ছেলেরা গোসল করে। তার পরও আমাদের পানিতে নামতে হয়। আমি সাঁতার কাটি বলে আমার গ্রামের লোকেরা হাসাহাসি করে। বলে, তুমি শহরে গিয়ে কী কাজ করো? আমার সাঁতারের পোশাক দেখে বাজে কথা বলে অনেকে। এসব কষ্ট মনে চেপে রেখেই সাঁতরাই। সাঁতারের পাশাপাশি নাকি বগুড়া শহরে দোকানদারিও করো?মরিয়ম: হ্যাঁ। আমার কোচ মাসুদ রানার বাড়িতে থাকি। শহরের গোহাইল রোডে ওনার একটা জ্বালানি তেলের দোকান আছে। সেখানে আমি হিসাব লিখি। তবে স্কুল থাকলে আমাকে দোকানে বসতে হয় না। জাতীয় শিশু একাডেমি প্রতিযোগিতায় নাকি একবার সোনা জিতেছিলে?মরিয়ম: সেটা ২০০৯ সালে। এরপর বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে আর সেখানে খেলার সুযোগ পাইনি। এবার তুমি মেয়েদের সেরা হয়েছ। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী নিশ্চয়ই তোমাকে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে?মরিয়ম: আমাকে নেওয়ার জন্য সবাই আগ্রহ দেখাচ্ছে, এটা দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে যারা আমাকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেবে সেই দলের হয়েই খেলব। তোমার পরিবারের কথা বলো?মরিয়ম: আমার বাবা কৃষক। মা গৃহিণী। আমি ছোটবেলায় পানিতে নামলে উঠতে চাইতাম না। তাই বাবা আমাকে বলতেন, তুই সাঁতারে ভালো করবি। তারপর বাবাই কোচের হাতে তুলে দেন আমাকে। গত বছর বগুড়া সুইমিং সেন্টারের হয়ে খেললেও এবার কেন কুষ্টিয়ার সাগরখালীর হয়ে খেলছ?মরিয়ম: আমরা দুই বছর ধরেই বগুড়া সুইমিং সেন্টারের হয়ে খেলেছি। সোনা জিতলে তিন হাজার টাকা আর রুপা জিতলে দুই হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একবারও প্রতিশ্রুত টাকাগুলো পাইনি। তাই এবার কোচ ওই ক্লাবে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। সবে তো তোমার শুরু। নিজেকে কোথায় দেখতে চাও?মরিয়ম: এই সাফল্য ধরে রাখতে চাই। দেশের সেরা সাঁতারু হতে চাই আমি।গাজীপুরের টঙ্গীর সেই ভবনের অনুমোদিত নকশা এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২২ অক্টোবর রাজউকের টঙ্গী অঞ্চলের পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম ওই নোটিশ দেন।ভবনের মালিক তছর আলীর দাবি, তিনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজউকের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ভবনের মালিককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হবে।১০ অক্টোবর প্রথম আলোয় ‘পাঁচতলার অনুমোদন নিয়ে সাততলা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।সাফ ফুটবলে ব্যর্থতার পর দুই ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ ও রেনে কোস্টার প্রায় বসেই আছেন। এ দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান দুজনই। কিন্তু বাফুফেই তাঁদের কোনো কাজ দিতে পারছে না। দুই কোচ এবার নেদারল্যান্ডস সরকারের সঙ্গে বাফুফের একটা সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি করে দিতে আগ্রহী হয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ঢাকাস্থ ডাচ রাষ্ট্রদূত গারবেন ডি ইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার সুযোগ করে দিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে।রাজধানীর একটি হোটেলে কালকের অনানুষ্ঠানিক এই আলোচনায় সালাউদ্দিনের সঙ্গী ছিলেন বাফুফের দুই সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও তাবিথ আউয়াল। প্রাথমিক আলোচনায় বাফুফেকে বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডি ইয়ং।এর আগে সেনেগালের রাষ্ট্রদূত থাকাকালে ডাচ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সে দেশের একটি সুসম্পর্ক তৈরিতেও ভূমিকা রাখেন ভদ্রলোক। বাংলাদেশের জন্যও কিছু করার ইচ্ছা জানিয়েছেন, ‘আমি যখন সেনেগালে ছিলাম, তখন ওই দেশের ফুটবলে আমি অনেক সহযোগিতা করেছি। বিশেষ করে ফুটবলের বিভিন্ন কাঠামোগত উন্নয়নে অনেক সাহায্য করেছে ডাচ সরকার। বাংলাদেশকেও আমরা এমন সহযোগিতা করতে চাই।’গত ২৬ নভেম্বর এফসি টোয়েন্টিতে ট্রায়ালের জন্য হল্যান্ড গেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। ডি ক্রুইফের মাধ্যমেই সেখানে সুযোগ পেয়েছেন হেমন্ত। এমন আরও প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলারকে সুযোগ করে দিতে চান ডি ইয়ং, ‘হেমন্তর মতো তরুণেরা যাতে আয়াক্স, এফসি টোয়েন্টির মতো ক্লাবে সুযোগ পায় সে ব্যবস্থা করতে চাই আমরা। এই ক্লাবগুলো সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়।’ইয়োহান ক্রুইফ ফাউন্ডেশনেও তরুণ ফুটবলার পাঠানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছে ডাচ রাষ্ট্রদূত। এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে নাকি বেশ ভালো সম্পর্ক আছে তাঁর। আলোচনার পর বাফুফের সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল জানালেন, ‘স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদের কিছু পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ডি ইয়ং। তবে তিনি শর্ত হিসেবে বাফুফের একাডেমিতে ডাচ কোচ নিয়োগের কথা বলেছেন। আমরা অবশ্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা ভাবছি। আশা করছি, ডাচ ফুটবল থেকে আমরা ভালো সাহায্য পাব।’মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার রূপসা গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে এক স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে গত রোববার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতেরা তাঁর বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকারসহ আট লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।রূপসা ওহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন জানান, গত রোববার রাত ১২টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন লোক তাঁকে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। তিনি দরজা খুললে মুখোশধারী ১০-১২ জন ডাকাত দেশে তৈরি অস্ত্র নিয়ে তাঁর ঘরে ঢোকে।এ সময় তারা সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারিতে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনসেট লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। |
বগুড়া শহরের চায়ের দোকানে কাজ করা এক শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গতকাল রোববার সাতমাথা এলাকায় ফুল মার্কেটসংলগ্ন শহীদ খোকন পার্কের পশ্চিম ফটক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মানবাধিকার সংগঠন সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক কে জি ফারুক বলেন, বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের প্রথম দিন ছিল গতকাল রোববার। বিকেলে কয়েকজন মানবাধিকারকর্মীকে নিয়ে তিনি ওই দোকানে চা খাচ্ছিলেন।একপর্যায়ে দোকানদার মিনহাজুল ইসলাম তাঁর শিশু কর্মচারী সজীব মিয়াকে মারধর শুরু করেন। শিশুটি তখন হাউমাউ করে কাঁদছিল। এ সময় তাঁরা শিশু অধিকার সপ্তাহের দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এভাবে মারধর করা থেকে দোকানদারকে বিরত থাকতে বলেন। এ কথা না শুনে মারধর করতে থাকায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে মিনহাজুলকে আটক করে।নির্যাতনের শিকার সজীব মিয়া বলে, ‘বাবা নাই। খাবার জোগাতে চায়ের দোকানে কাজ করি। যে দোকানেই কাজ করতে যাই, একটু ভুল হলে সেখানেই মারধর খেতে হয়।’চা দোকানদার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুদের নিয়ে কাজ করা খুব ঝামেলার ব্যাপার। তারা কাজ করতে চায় না। খালি ফাঁকি দিতে চায়। সন্ধ্যায় দোকানে ক্রেতার ভিড়। অথচ ওর পাত্তা নাই। বেশ কিছুক্ষণ পর দোকানে এলে রাগ করে দু-একটা থাপড় মেরেছি।’বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের সত্যতা পেয়ে চা দোকানি ও নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এখন শিশুটির কাছ থেকে সব শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।১৮তম এশিয়ান আর্চারি ও ২০১৪ সালের যুব অলিম্পিক গেমসের আঞ্চলিক পর্ব কাল একসঙ্গে শুরু হয়েছে চীনা তাইপেতে। এশিয়ান আর্চারিতে ভালোই শুরু করেছেন বাংলাদেশের তিন তিরন্দাজ ইমদাদুল হক মিলন, রোমান সানা ও মাইথ্রু প্রু। তিনজনই উঠেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। প্রথম রাউন্ডে ইমদাদুল ৬-২ সেটে কাজাখস্তানের সাইদিয়েভকে, রোমান ৬-০ সেটে ইরাকের মাহমুদ আহমেদকে এবং মহিলা বিভাগে মাইথ্রু প্রু ৬-২ সেটে জিতেছেন ইন্দোনেশিয়ার সাফিত্রিকে হারিয়েছেন।এত দিন ডাগ-আউটে অহর্নিশ সামলাতে হয়েছে সীমাহীন স্নায়ুচাপ। এখন ঝাড়া হাত-পা। ম্যাচের আগে কৌশল নিয়ে ভেবে আর গলদঘর্ম হতে হয় না। খেলোয়াড়দের বকাবকি করতে হয় না। ফুটবল কোচের তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ জীবন থেকে মুক্তির আনন্দটা কেমন লাগছে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের? শুরুতে ঠিক যেন উপভোগ করতে পারছিলেন না ফার্গি। পারবেন কীভাবে, গ্যালারিতে গিয়ে প্রিয় দলের বারবার হোঁচট খাওয়া দেখতে কি ভালো লাগে? কিন্তু জার্মানিতে উড়ে গিয়ে দুর্দান্ত ইউনাইটেডকে দেখে নিশ্চয়ই কিছুটা তৃপ্তি পেয়েছেন। মনে মনে হয়তো বলেছেন, ‘বাঁচা গেল। এই লোকটার হাতে ইউনাইটেডের দায়িত্ব ছেড়ে এসে ভুল করিনি!’তবে এখনই হয়তো চূড়ান্ত কথাটা বলা বাড়াবাড়ি। মৌসুমের এখনো অর্ধেকও পার হয়নি, ডেভিড ময়েসকে মূল্যায়ন করার অনেক সময় পড়ে আছে। তবে শুরুটা যেমন করেছিলেন, তাতে রায়টা বিরুদ্ধেই যাবে বলে মনে হচ্ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষে তো অনেকেই ময়েসের এপিটাফ লিখে ফেলেছিলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ৬ ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট, তিন ম্যাচে হার। লিগ চ্যাম্পিয়নরা কি না পয়েন্ট তালিকার ১৩ নম্বরে!ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা সেখান থেকেই। আর্সেনালকে নিজেদের মাঠে হারানোর পর হাওয়া লাগতে শুরু করে আশার পালে। পয়েন্ট ব্যবধান এরপর কমে দাঁড়ায় পাঁচে। যদিও গত সপ্তাহে কার্ডিফের সঙ্গে ড্রটা অপ্রত্যাশিত একটা ধাক্কা হয়ে এসেছে। তা-ও আবার ‘ফার্গি টাইমে’ গোল খেয়ে। যেখানে আগে যোগ করা সময়ে গোল করাটা একরকম অভ্যাসই বানিয়ে ফেলেছিল ইউনাইটেড!লেভারকুসেনের সঙ্গে জয়টা তাই স্বস্তির উপলক্ষ। কিন্তু স্বস্তির গন্ডি ছাড়িয়ে এটা বরং বিস্ময়ই জাগাচ্ছে বেশি। বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় দলকে ওদের মাঠে গিয়ে পাঁচ গোল দেওয়া সহজ কথা নয়! ১৯৫৭ সালের পর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এটা ইউনাইটেডের সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয়ও। লেভারকুসেন কোচ স্যামি হাইপিয়া তো বড় একটা শংসাপত্রই দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে, ‘তারা শেষ পর্যন্ত যেতে পারে। আগে গোল করলে ওদের বিপক্ষে খেলা খুবই কঠিন।’ডেভিড ময়েস অবশ্য এতেই সন্তুষ্ট নন, আরও ভালো করার প্রত্যাশা তাঁর, ‘আমাদের সেরা দিনগুলো পড়ে আছে সামনে। এর চেয়েও ভালো দিন আসবে।’ একই সুর ডিফেন্ডার প্যাট্রিস এভরার কণ্ঠেও, ‘সবাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে খুব তাড়াতাড়ি হিসাব থেকে বাদ দিয়ে দেয়। গত বছরও অনেকে অনেক কিছু বলেছিল। কিন্তু ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে আমরা লিগ জিতেছি। এবার মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কী হয় দেখুন।’এভরার কথাটা তর্জন-গর্জন কি না বোঝা যাবে সময় হলেই। আপাতত ময়েস ব্যস্ত টটেনহাম-বধের ছক নিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কালই মুখোমুখি দুই দল। এএফপি, ওয়েবসাইট।২০১৩ সালে নয়টি টেস্ট খেলে প্রতিটিতেই কমপক্ষে একটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। অসাধারণ একটা বছরই গেল এবি ডি ভিলিয়ার্সের। দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে অধিনায়ক ২০১২ সালে নিজের শেষ ম্যাচেও করেছিলেন সেঞ্চুরি। টানা ১০ ম্যাচে কমপক্ষে একটি ফিফটি—ডি ভিলিয়ার্স পেরিয়ে গেছেন জ্যাক ক্যালিসের দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড। ডারবানে সর্বশেষ টেস্ট খেলা ক্যালিস ২০০৭ সালে টানা ৯ ম্যাচে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছিলেন। নিজের পরের ম্যাচে আরেকটি ফিফটি পেলেই ডি ভিলিয়ার্স ছুঁয়ে ফেলতেন টানা ম্যাচে ফিফটির বিশ্ব রেকর্ড। টানা ১১ ম্যাচে ফিফটি করে যৌথ রেকর্ডের ভাগীদার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস, ভারতের গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর শেবাগ। |
বগুড়ার ধুনট উপজেলার তিনটি গ্রামীণ সড়কের কাজ শেষ না করেই উধাও হয়ে গেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা। এতে অর্ধনির্মিত এসব সড়ক বর্ষায় বৃষ্টিতে ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়েছে।সড়ক এলাকাগুলোর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা জানান, ঠিকাদারেরা সড়কের কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যাওয়ায় বৃষ্টিতে এমন দশা হয়েছে যে যান চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এসব সমস্যা নিয়ে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনাও হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়েও বিষয়টি একাধিকবার জানানো হয়েছে। তবু কোনো কাজ হয়নি।উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্র জানায়, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের আমলে এ তিনটি সড়কের অবকাঠামো তৈরিসহ পাকাকরণের কাজ হাতে নেওয়া হয়। বগুড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) থেকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ধুনটের গোসাইবাড়ী থেকে ভান্ডারবাড়ী ভায়া ঢেকুরিয়া বাজার পর্যন্ত এক হাজার ২৫০ মিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ পায় বগুড়ার সোনাতলা সহিদ এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটি সড়কে কোনো রকমে ইট-বালু ফেলে ১৫ লাখ টাকা তুলে কাজ না করে চলে গেছে। একইভাবে চৌকিবাড়ী থেকে দিঘলকান্দী বাজার পর্যন্ত ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার সড়ক পাকা করার কাজ নেয় নওগাঁ মেসার্স রুবেল ট্রেডার্স। এরাও তেমন কোনো কাজ না করেই চলে গেছে। একই সঙ্গে মথুরাপুর থেকে সোনকা বাজার পর্যন্ত ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার সড়ক পাকা করার কাজ নেয় সোনাতলা রিজভি ট্রেডার্স। এরাও কাজ করেনি।সূত্রটি আরও জানায়, ২০০৯ থেকে ২০১১ অর্থবছরের বিভিন্ন সময়ে সড়কগুলোর কাজ শুরু করা হয়। প্রতিটি কাজ শেষ করার সময় ছিল ছয় মাস।উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, ঠিকাদারেরা তিনটি সড়কেরই ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে গেছেন। বারবার তাঁদের চিঠি দিয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাঁরা আসেননি। তাই তাঁদের কাজ বাতিল করা হয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর করে যাওয়া আধাআধি কাজ বৃষ্টিতে ভেঙে সড়কগুলোর দশা আরও নাজুক পড়েছে। স্থানীয় লোকজন রিকশা বা ভ্যানে চড়ে বা হেঁটে চলাচল করতে গিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।ধুনট গোসাইবাড়ী থেকে ভান্ডারবাড়ী ভায়া ঢেকুরিয়া সড়কের ঠিকাদার আতিকুজ্জামন বলেন, এসব কাজ সম্পন্ন করতে যে পরিমাণ টাকা দরকার, তা বরাদ্দ না থাকায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সড়কের ৬০ শতাংশ কাজ করে মাত্র ১৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। নতুন করে অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।এলজিইডি বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাইম উদ্দীন বলেন, দরপত্র আহ্বানের পর ঠিকাদারেরা অনেক সময় কাজ ধরতে দেরি করেন। পরে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজে লোকসানের কথা ভেবে তাঁরা কাজ করেন না। টাকা বরাদ্দ নেই, ঠিকাদারের এ বক্তব্য সঠিক নয়। হয়তো কাজ করার পর টাকা দিতে কিছুটা সময় লাগে। কাজ শেষে অবশ্যই তাঁদের বরাদ্দকৃত অর্থ ঠিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঘরে প্রয়োজনীয় উত্তাপ ও আলো সরবরাহের জন্য চীনের গবেষকেরা এবার তৈরি করেছেন ‘স্মার্ট জানালা’। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রশ্মির প্রবেশ রোধ করবে। নেচার সায়েন্টিফিক রিপোর্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষকেরা লিখেছেন, বিশেষ ধরনের ওই জানালার কাচে ব্যবহার করা হয়েছে ভ্যানাডিয়াম অক্সাইড নামের পদার্থ। এটির মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট মাত্রায় আলো চলাচল করে। কিন্তু সেই মাত্রা অতিক্রম করলে ওই কাচের মধ্য দিয়ে আলো প্রতিফলিত হয়। এ কারণে তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রবেশ ব্যাহত হয়। এ ছাড়া ‘স্মার্ট জানালার’ কাচের চারপাশে স্থাপিত সৌর প্যানেলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎও পাওয়া যায়। এএফপি।সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উৎকণ্ঠা। ফিফা-ব্যালন ডি’অর মেসিই পাচ্ছেন, নাকি এবার সেটা ছিনিয়ে নেবেন রোনালদো? তবে টমাস মুলার এই দুজনের কারও হাতেই দেখছেন না পুরস্কারটিকে। বায়ার্নের জার্মান ফরোয়ার্ডের মতে, এটা এবার বায়ার্ন মিউনিখের কারও হাতেই উঠছে।ফ্রাঙ্ক রিবেরি, আরিয়েন রোবেন, ফিলিপ লাম, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেইগার, ম্যানুয়েল নয়্যার ও মুলার নিজে—ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন গত মৌসুমের ত্রিমুকুটজয়ী বায়ার্নের ছয়জন। এঁদের মধ্যে আলাদা করে কারও নাম বলেননি, তবে মুলার মনে করছেন এই ছয়জনের যে কেউই পেতে পারেন পুরস্কারটা, ‘বায়ার্নের ছয়জন খেলোয়াড় থাকাটা মোটেই কাকতালজাতীয় কিছু নয়। এর মানে গতবার আমাদের পারফরম্যান্স ভালোমতো দেখেই এটা করা হয়েছে। বায়ার্নের কেউই এই পুরস্কারটা পাচ্ছে।’এখন পর্যন্ত রিবেরিই অন্য সতীর্থদের চেয়ে এগিয়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মুলারের কথা ঠিক হয় কি না সেটা অবশ্য মাস খানেক পরই জানা যাবে। ওয়েসবাইট।অবশেষে শেষ হচ্ছে ঘাত-প্রতিঘাত, সহিংসতা-রক্তক্ষরণ আর দুর্ভোগ-অনিশ্চয়তার একটি বছর। ক্ষমতালিপ্সুদের হিংসার রাজনীতি কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষের জীবন। অবশিষ্টদের বেঁচে থাকার সান্ত্বনা একটাই, বিচারহীনতার শৃঙ্খল মুক্তির যে দেখা মিলেছে, তা যেন হারিয়ে না যায়।যুক্তরাষ্ট্রের মানবতাবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র বলেছিলেন, নিছক উত্তেজনার অনুপস্থিতি শান্তি নয়, প্রকৃত শান্তি হচ্ছে ন্যায়বিচারের উপস্থিতি। চলমান সংঘাত-সহিংসতা হয়তো একদিন বন্ধ হবে, আবার শান্তিতে রাস্তায় নামবে দেশের মানুষ। কিন্তু প্রতিটি অন্যায়-অবিচারের বিচার না হলে মানুষের অন্তর্দহন বন্ধ হবে না। এ জন্য সব বিভেদ ভুলে ন্যায়বিচারের পথকে উন্মুক্ত রাখতে হবে।বছরজুড়েই ছিল রায়। একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রথম রায় আসে জানুয়ারিতে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে যেদিন জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হলো, সেদিন দেশজুড়ে শুরু হলো হিংস্র তাণ্ডব। এক বিচারের ফল নতুন করে আরও বিচারপ্রার্থী তৈরি করল। তবু, ১২ মাসে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার নয়টি রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় ইতিহাসের দায়মোচনের দিকে। এপ্রিলে শেষ হয় এ দেশের আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের বিচার—কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা। আর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মম হত্যার রায় হয় নভেম্বরে। নজিরবিহীন এ রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয় ১৫২ জনকে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে কার্যকর হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম রায়, ফাঁসির দড়িতে ঝোলেন জামায়াতের নেতা আবদুল কাদের মোল্লা। আর বছরের একেবারের শেষদিকে বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন ছাত্রলীগের আট কর্মী। এ রায় হয়তো কান্না থামাতে পারেনি বিশ্বজিতের মায়ের, তবে ‘শান্তিতে মরার’ যুক্তি খুঁজে পেয়েছেন তিনি।২০১৩ সাল তাই বিচার পাওয়ার বছর।ইতিহাসের দায়মোচন: ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর। রাত ১০টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রথম রায়। ফাঁসির দড়িতে ঝোলেন একাত্তরে ‘কসাই কাদের’ নামে পরিচিত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।একাত্তরের গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণসহ সব নির্মমতার বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুই বছরেও যখন বিচারকাজ আশানুরূপ গতি পায়নি, তখন ২০১২ সালের ২২ মার্চ গঠন করা হয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল। প্রায় তিন বছরের মাথায় দুই ট্রাইব্যুনাল থেকেই একের পর এক রায় আসতে থাকে। এ পর্যন্ত নয়টি মামলার রায় দিয়েছেন দুই ট্রাইব্যুনাল, এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-১ তিনটি ও ট্রাইব্যুনাল-২ ছয়টি। সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে এর মধ্যে একটি মামলার। ছয়টি রায়ের আপিল এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি।২১ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সাবেক নেতা পলাতক আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লাকে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নামে তরুণসমাজ। কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগসহ সারা দেশে গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষকে আপিলের সমান সুযোগ রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে সংশোধনী আনা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুই পক্ষই। ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করেন। ৫ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়, ১০ ডিসেম্বর সাজা কার্যকরের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু এক নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে শেষ মুহূর্তে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা কার্যকর স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি। আবার পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি হয়, কিন্তু এক দিন শুনানির পর তা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেদিন ১২ ডিসেম্বর। আবেদন খারিজ হওয়ার ১০ ঘণ্টার মধ্যে সাজা কার্যকর হয়।ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল আরও সাতটি রায় দিয়েছেন। জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর রায় হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিলে সারা দেশে তাণ্ডব চালায় জামায়াত। ৭ মার্চের মধ্যে ১৮ জেলায় সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৭৭ জন। এ মামলাটিরও বিচার চলছে আপিল বিভাগে।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার চতুর্থ রায়ে ৯ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পান জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। তবে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ করেও সর্বোচ্চ সাজা থেকে বেঁচে যান ‘জামায়াত গুরু’ গোলাম আযম। ১৫ জুলাই তাঁকে ৯০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ বলেন, বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়নি। এক দিন বাদে ১৭ জুলাই জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল-২। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী নিধনের পরিকল্পনা ও সহযোগিতার দায়ে প্রথম সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি হলেন মুজাহিদ। ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় আসে ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে। আর ৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-২ সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। একাত্তরে নিষ্ঠুর এই স্বাধীনতাবিরোধী নেতা শারীরিক কারণে ‘মানবিক সাজা’ পেয়ে যান। পাঁচটি মামলাই আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।একাত্তরে বিজয়ের উষালগ্নে বুদ্ধিজীবী নিধন অভিযানের ‘অপারেশন ইনচার্জ’ ছিলেন আলবদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন, আর ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ছিলেন আরেক আলবদর আশরাফুজ্জামান খান। ৩ নভেম্বর এ দুজনকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২। তবে এ দুই আসামিই বিদেশে পলাতক। এ জন্য তাঁদের কেউ আপিলও করেননি।এক বছরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১০টি রায় আর হয়ে ওঠেনি শেষ পর্যন্ত। ১৩ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমও শেষ হয় ট্রাইব্যুনাল-১-এ। যেকোনো দিন এ মামলার রায়ও ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।১৫২ জনের ফাঁসি: ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিদ্রোহ করেন বিডিআর জওয়ানরা। তাঁরা নির্মমভাবে হত্যা করেন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। চলতি বছরের ৫ নভেম্বর সেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের রায় দেন বিচারিক আদালত। আসামির সংখ্যার দিক থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এ হত্যা মামলার সাজাও হয় নজিরবিহীন। ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয় ১৫২ জনকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পান আরও ১৬১ জন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় আরও ২৫৬ জনের। দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে বিচার পায় রক্তাক্ত বিদ্রোহে স্বজনহারাদের পরিবার।কান্না থামে না কল্পনা দাসের: বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যার দায়ে আটজনের ফাঁসি হয়েছে। তবুও কান্না থামে না কল্পনা রানী দাসের। ছেলের আবক্ষ মূর্তির সামনে বসে অঝোরে কেঁদে চলেন ছেলেহারা এই মা। বিচারের রায় পেয়েছেন, এবার তিনি তা কার্যকর দেখতে চান।১৯ ডিসেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় কল্পনা দাসের ছবিটিই বলে দেয়, গত এক বছর কী অবর্ণনীয় শোক বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী জোটের অবরোধ কর্মসূচির দিনে পুরান ঢাকায় দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের পর ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। বছরের প্রায় শেষ পর্যায়ে ১৮ ডিসেম্বর এসে বিচারিক আদালত ছাত্রলীগের আট কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে আট আসামি কারাগারে ও বাকিরা পলাতক।বছরের শেষ সূর্য অস্ত যাবে আজ। মানুষ আশা করতেই পারে, এই রক্তক্ষরণ আর সংঘাতের বছর আর নয়। বরং নতুন আরেকটি বছর আসুক, যে বছরে সব অপমৃত্যুর বিচার হবে, রক্তক্ষরণের সব দায় মেটাতে পারবে দেশের মানুষ। |
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দপ্তরের সাব-স্টেশনে স্থাপিত ১০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমারটি গত শুক্রবার বিকল হয়ে পড়ায় উল্লাপাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে প্রায় সাড়ে সাত হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রায় ৩৫ বছরের পুরোনো এই ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। তার পর থেকে কয়রা, দুর্গানগর ও পূর্ণীমাগাতী—এই তিন ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ইউনিয়নগুলোর প্রায় সাড়ে সাত হাজার গ্রাহক। এরপর গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পাঁচ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্রান্সফরমার অস্থায়ীভাবে বসিয়ে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উপকেন্দ্র থেকে অল্প অল্প করে বিদ্যুৎ নিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী তুষার কান্তি দেবনাথ বলেন, পিবিএসের উল্লাপাড়া সদর দপ্তর কার্যালয় চত্বরে স্থাপিত এই পুরোনো ট্রান্সফরমারটি ডেসকো কোম্পানির ছিল। এটি ইংল্যান্ডের ফারান্টি কোম্পানির হলেও ট্রান্সফরমারটি প্রায় ৩৫ বছর আগের। এটি আর মেরামত করাও যাবে না। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি পাঁচ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করায় গতকাল থেকে গ্রাহকদের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে।ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) সনদধারী শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আইইউটির ২৭তম সমাবর্তনে গতকাল বুধবার এ আহ্বান জানান তিনি।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইইউটি ওআইসি ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল খাতসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠান নিরলস ভূমিকা পালন করে চলেছে। আগামী দিনগুলোতে এ প্রতিষ্ঠান উজ্জ্বলতর অবদান রাখবে।আইইউটির উপাচার্য এম ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে বক্তব্য দেন শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বুশাইরি, ওআইসির মহাসচিবের প্রতিনিধি মো. আহমেদ ঝাউল।অনুষ্ঠানে ১৬টি দেশের ২৯২ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তর, স্নাতক ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেওয়া হয়। সবচেয়ে ভালো ফল করায় বাংলাদেশের মো. শাহরিয়ার ইসলামকে ওআইসি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এ ছাড়া নাফিউল রশিদ, মো. গোলাম সাবের, ইজাজ মাহমুদ চৌধুরী ও গুমা আলীকে আইইউটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।ওয়ানডে ক্রিকেটটা কি আরও বেশি করে ব্যাটসম্যানদের অধিকারে চলে যাচ্ছে? বহুবার উচ্চারিত প্রশ্নটাকে আবারও সামনে নিয়ে এলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক সে রকমই আশঙ্কা করছেন, বিশেষ করে ওয়ানডেতে নতুন নিয়মের পর।আইসিসির নতুন নিয়মে ‘পাওয়ার প্লে’র বাইরের ওভারগুলোতেও ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ৪ জনের বেশি ফিল্ডার থাকতে পারবে না। রানাতুঙ্গা নিজে ছিলেন ব্যাটসম্যান। তবে এই নিয়ম চালু হওয়ার পর বোলাররাই তাঁর সহানুভূতি পাচ্ছে, ‘অনেকেই বলছে নতুন নিয়ম হওয়ায় খেলাটার জন্য ভালোই হয়েছে। কিন্তু আমার সে রকম মনে হয় না। যাদের বয়স এখন ৮ থেকে ১০ বছর, তারা তো এখন বল না নিয়ে হাতে ব্যাটই নিতে চাইবে।’ক্রিকেটে ভালো বোলারের সংখ্যা যে কমে যাওয়াটাও চোখে পড়ছে রানাতুঙ্গার, ‘অনেকেই বলে ক্রিকেট আসলে ব্যাটসম্যানদের খেলা। কিন্তু আমি মনে করি ফিফটি-ফিফটি যদি নাও হয়, এটা অন্তত সিক্সটি-ফোরটি (ব্যাটসম্যানদের পক্ষে) হওয়া উচিত। না হলে বোলাররা এভাবে খুন হতেই থাকবে। এখন তো এটাকে নাইনটি-টেন বলেই মনে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে তো মনে হয় এটা ৯৫: ৫। কিছু গ্রেট বোলারও এই টি-টোয়েন্টির যুগে এখন পিটুনি খাচ্ছে। পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া বাকিদের অবস্থা আরও খারাপ।’আইসিসি অবশ্য নতুন নিয়মে বোলিং পাওয়ার প্লে বাতিল করেছে। দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল দিয়ে খেলা হচ্ছে। রানাতুঙ্গা এ নিয়ে আরও অখুশি। নিয়মটা পছন্দ হয়নি সনাৎ জয়াসুরিয়ারও। তবে সাবেক শ্রীলঙ্কান পেসার চামিন্ডা ভাসের আশা, বোলাররা নতুন নিয়মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবেন, ‘ফাস্ট বোলারদের জন্য দুটি নতুন বল ভালোই হয়েছে। তারা এটা কাজে লাগিয়ে আরও উইকেট নিতে পারবে।’ ওয়েবসাইট।টি-টোয়েন্টিটা কীভাবে খেলতে হয়, এটা আসলে আমরা এখনো বুঝতেই পারিনিনিউজিল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টিতে হেরে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমআমার বাড়ি বেশ বড়, তবে এত বড় নয় যে এত এত উপহার রাখতে পারবহাজারো বিদায়ী উপহার পেয়ে আপ্লুত ক্রিকেট মহানায়ক শচীন টেন্ডুলকারযাঁরা বলেন মারুফ কোনো কোচই নন, তাঁদেরই এই শিরোপাটা উৎসর্গ করলাম‘ট্রেবল’ জেতার পর সমালোচকদেরও জবাব দিলেন শেখ রাসেল কোচ মারুফুল হকদুই ঘোড়ার দৌড়ে আমরা তৃতীয় হয়েছিঅ্যাশেজ হারের পরইংলিশ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ম্যাট প্রায়রের উপলব্ধিআমাদের ক্রিস্টিয়ানো আছে, মেসিকে কে চায়?লিওনেল মেসিকে দলে চান কি না প্রশ্নে রিয়াল মাদ্রিদ কোচকার্লো আনচেলত্তিঅস্ট্রেলিয়ার মতো বাংলাদেশ ১২৮ রানে শেষ হয়ে গেলে সবাই বলত তাদের টেস্ট ক্রিকেট খেলা উচিত নয়ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ খোয়ানো অস্ট্রেলিয়ার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা সাবেক ইংলিশ ওপেনার জিওফ বয়কটেরফিফাই ব্রাজিলের সত্যিকারের প্রেসিডেন্ট২০১৪ বিশ্বকাপ আয়োজনে ফিফার খবরদারি দেখে বিরক্ত ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকার রোমারিওআমি যে সেরা সেটা জানতে এই ট্রফিটা জেতার দরকার নেইব্যালন ডি’অর নিয়ে পিএসজির সুইডিশ স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ |
২৮ মিনিট মাঠে ছিলেন। কিন্তু লিওনেল মেসির জন্য ওই সময়টুকুই যথেষ্ট ছিল।আলমেরিয়ার দুই ডিফেন্ডারকে কাটালেন চেনা ভঙ্গিতে। পেদ্রোর সঙ্গে একটা ওয়ান-টু খেলে বাঁ পায়ের শট। গোল!বার্সেলোনার হয়ে ৩২৪ নম্বর গোল। বার্সার জার্সি গায়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল তো অবশ্যই, তাঁর চেয়ে বেশি গোল নেই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কোনো স্ট্রাইকারেরও। দুই ক্লাবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা এত দিন ছিল রাউল গঞ্জালেসের (৩২৩টি)। পরশু রাতে মেদিতেরানিওস স্টেডিয়ামে মেসি পেরিয়ে গেলেন রিয়ালের কিংবদন্তিকেও। কর ফাঁকি আর মামলা-মোকদ্দমার বিতর্ক সব আদালতের চৌহদ্দিতে রেখেই যেন নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।মেসির ওই গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার হয়ে আরও একটা গোল করেছেন আদ্রিয়ানো। ২-০ গোলের জয়ে লা লিগায় নতুন মৌসুমে শতভাগ জয়ের ধারা অক্ষুণ্ন। ক্লাব ইতিহাসে এর আগে কখনো মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচ জেতেনি বার্সেলোনা। সঙ্গে গত মৌসুমের শেষ পাঁচ ম্যাচে জয় মিলিয়ে লিগে টানা ১২ জয়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় লা লিগার শীর্ষস্থানটা এখনো বার্সেলোনার। সবকিছুর কৃতিত্ব অকৃপণভাবে দলের খেলোয়াড়দের দিলেন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো, ‘ছেলেদের এত দিনের যা অর্জন আমি শুধু সেটার সুবিধা নিচ্ছি মাত্র। ওরা নিয়মিতই বিভিন্ন রেকর্ড ভাঙছে। আমি শুধু ঘটনাচক্রে এখানে আছি।’মেসির গোলটা ম্যাচের ২১ মিনিটে। এর মিনিট সাতেক পরই ঊরুর পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। কাতালানদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে, পরীক্ষার পর দেখা গেছে চোটটা কিছুটা খারাপের দিকেই। কাল ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সপ্তাহ তিনেকের মতো মাঠের বাইরে কাটাতে হবে মেসিকে। তার মানে সামনের সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগে সেল্টিকের বিপক্ষে এবং লা লিগায় ভ্যালাদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে থাকবেন না ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। চোটের কারণে হাভিয়ের মাচেরানো আর জর্ডি আলবা মাঠের বাইরে আগে থেকেই। এবার মেসির না থাকার সংবাদ কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কোচ মার্টিনোর কপালে। এভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো চোট এড়ানোর জন্যই তো গত সপ্তাহে রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচের শেষ দিকে তুলে নেন মেসিকে। একই কারণেই কিনা, আরেক তারকা নেইমারকে এদিন মাঠেই নামাননি মার্টিনো। এএফপি।নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় বন্ধ ঘোষিত আবির ফ্যাশন কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকেরা। গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ শহরে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সমিতির (বিকেএমইএ) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শ্রমিকেরা ওই দাবি জানান।সমাবেশ শেষে বিকেএমইএ কর্তৃপক্ষের কাছে সঞ্চারকলিপি দেন শ্রমিকেরা।শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে গত রোববার আবির ফ্যাশনের শ্রমিকেরা ওই কারখানাসহ পাশের আরও পাঁচটি কারখানায় ভাঙচুর করেন। বাধা দিলে শ্রমিকেরা কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এ সময় কারখানার মালিকপক্ষের লোকদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ওই দিন রাতেই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।ওই দিন শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল বিকেএমইএর সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।সমাবেশে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, বিকেএমইএ বলছে, আবির ফ্যাশন তাদের সদস্য নয়। অপরদিকে বিজেএমইএও এর দায়িত্ব নিচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে আবির ফ্যাশন খুলে দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। নইলে পুরো নারায়ণগঞ্জে ধর্মঘট পালন করা হবে বলে জানানো হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাহমুদ হাসান।বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তর সাম্প্রদায়িক হামলার উর্বরক্ষেত্র হয়ে আছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুষ্কৃতকারীদের যথাযথ বিচার না হওয়ায় রামুর পর প্রায় একই রকমভাবে সাঁথিয়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। এসব হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে।গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণ ও প্রতিকার’ শীর্ষক ওই সভা আয়োজন করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাবিরোধী নাগরিক সমাজ।বৈঠকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাবিরোধী নাগরিক সমাজ সাঁথিয়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার ওপরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এটি পড়ে শোনান মানবাধিকারের কর্মী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবনার সাঁথিয়ার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সাঁথিয়ার ঘটনার পেছনে চাঁদাবাজির পাশাপাশি স্থানীয় বা আঞ্চলিক রাজনীতি ও প্রভাব বিস্তার উল্লেখযোগ্য কারণ। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতা কাউসার হাবিব সুইট আর ছাত্রশিবিরের নেতা জাকিরের যৌথ মিশনে বাবুল সাহাকে তুলে নেওয়া প্রমাণ করে যে স্বার্থের ঐক্যে রাজনীতি কোনো বাধা নয়।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ দেশে বেড়ে ওঠা সন্তান যে পাড়াকে নিজের জায়গা বলে জেনেছে ও চিনেছে, সাম্প্রদায়িকতার আবরণে মোড়া রাজনীতির খেলায় এক নিমেষেই সেই অতি পরিচিত পাড়া, নিজের দেশকে আপন ভাবতে পারছে না।মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের হিসাব তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫১ জেলায় মোট ১৪৬টি মন্দির ও ২৬২টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, ২১৯টি দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় ৫০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত, পাঁচজন নিহত ও ৬৫ জন আহত হয়।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সহিংসতার মূল পরিকল্পনাকারীরা বিচারের মুখোমুখি হন না বলেই এ ধারা চলতেই থাকে। এর সুপারিশে বলা হয়, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির পাশাপাশি দরকার আইনি সংস্কার। সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করা দরকার, যেখানে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতার জন্য শাস্তির বিধান থাকবে এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।প্রতিবেদনে সাঁথিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগ এবং ভেঙে দেওয়া বাড়ি ও পুড়িয়ে দেওয়া মন্দিরগুলো রাষ্ট্রীয় খরচে পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন বলেন, রাজনৈতিক ছাড়াও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার নেপথ্যে আরও কারণ রয়েছে। সেগুলো খুঁজে দূর করার দাবি জানান তিনি।অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমানে তরুণদের একটি অংশকে বিভিন্ন নাশকতায় ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি প্রজন্মের পেশা হয়ে উঠছে বিভিন্ন নাশকতায় অংশ নেওয়া।বৈঠকে দৈনিক সমকাল-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের শিক্ষক সলিমুল্লাহ খান, শিপ্রা বোস প্রমুখ বক্তৃতা করেন।জমি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলমকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গতকাল সোমবার তাঁকে বগুড়া থেকে বরিশাল রেঞ্জে পাঠানো হয়। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সোমবার আমরা ওসি মাহমুদুলের বিষয়ে আদেশ পেয়েছি। এর পরই তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানার ওসি আবদুল মান্নানকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। তিনি গতকালই দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।’ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর ‘চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে’—এমন গুজব ছড়িয়ে গত ৩ মার্চ শাজাহানপুর থানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি জামায়াত নেতা শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে পাঁচ শতক জমি নেন ওসি। অভিযোগ উঠেছে, কখনো গ্রেপ্তার করা হবে না এবং অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, এমন সমঝোতার ভিত্তিতে ইয়াছিন আলীর কাছ থেকে ওই জমি ‘ঘুষ’ হিসেবে নেন ওসি মাহমুদুল আলম। জমির দলিল করা হয় ওসির দুই ভাই মাহবুবুর রহমান ও শাহিন রেজার নামে। এ নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রথম আলোয় ‘ছি ছি, ওসি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরই রাজশাহী পুলিশের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে একটি এবং বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এ ছাড়া বগুড়া থেকে তাঁকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে দুটি তদন্ত কমিটিই ওসির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। রাজশাহীর ডিআইজি মীর শহিদুল ইসলাম জানান, ওসির বিরুদ্ধে তদন্তে পাওয়া তথ্য-সংবলিত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ওসির বিরুদ্ধে একজন আসামির কাছ থেকে জমি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আইন অনুযায়ী তিনি সেটা পারেন না। এ ছাড়া আসামি গ্রেপ্তারে ওসির বিরুদ্ধে শৈথিল্যের অভিযোগেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ পুলিশ সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইয়াছিন আলী ও তাঁর বড় ছেলে রবিউল হাসানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে সুমন মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের মামলায়ও শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। |
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় এক সপ্তাহ ধরে ‘ইনডোর গেমস’-এর নামে চলা জুয়া ও হাউজি বন্ধের দাবিতে গতকাল রোববার মানববন্ধন করেছেন এলাকার লোকজন। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে বেলা ১১টায় এই মানববন্ধন করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন এতে অংশ নেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধনে নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল আশরাফ, পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বারী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে আজাদ, উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল করিম, পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন, জালাল উদ্দিন, আবু সাঈদ, সিহাব-উন-নবী, পৌর আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।মানববন্ধনে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ বলেন, ইনডোর গেমসের নামে এলাকায় মাইকিং করে জুয়া, হাউজি ও লটারি চালানোর কারণে মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়েছে। এর কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। বক্তারা অভিযোগ করেন, ইনডোর গেমস চালানোর অনুমতি নিয়ে এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালিয়ে জুয়া, হাউজি ও লটারি চালাচ্ছেন নন্দীগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম।রফিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়েই এখানে মাইকিং করে হাউজি চালানো হচ্ছে। হাউজির বাইরে কোনো প্রকার জুয়া বা লটারি চালানো হচ্ছে না।নন্দীগ্রাম থানার ওসি শাহাজাহান আলী বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম হাউজি চালাচ্ছেন। পুলিশের কিছু করার নেই।ঠিক চার বছর টিকল হ্যামিল্টন মাসাকাদজার রেকর্ড। ২০০৯ সালের অক্টোবরে কেনিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪৬৭ রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ের মাসাকাদজা। কাল ১৫৬ রান করে সেই রেকর্ড নিজের করে নিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক জর্জ বেইলি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান (৪৭৪) এখন বেইলিরই। ৮৫, ৯২*, ৪৩, ৯৮, ১৫৬—ভারতের বিপক্ষে বেইলির পাঁচ ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার আগের রেকর্ড ছিল ২০০৭ সালে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের (৩৬৫)। সেটাও ভারতের বিপক্ষে। সাইমন্ডসের কীর্তিটা অবশ্য ৭ ম্যাচে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডটা ছিল ১৯৯১ সালে জিওফ মার্শের (৩৪৯)।ঢাকায় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে মিতু আক্তার। দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধে মেয়েটির পড়ালেখায় বিঘ্ন হয়। পাশাপাশি মিতুর ভাবনা তার অটোরিকশাচালক বাবাকে নিয়ে। কেননা, হরতাল-অবরোধে নির্বিচারে জ্বালানো হয় পরিবহন। তার পরও মিতুর বাবাকে বের হতেই হয়। কারণ, বের না হলে সংসার চলে না। মিতু এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। রাজনীতিবিদদের প্রতি ওর তাই অনুরোধ, ‘আপনাদের যা সমস্যা তা নিজেরা মেটান। আমরা তো রাজনীতি করি না। আমাদের কষ্ট দেন ক্যান?’আরেকজন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ফলদা গ্রামের সরণ দত্ত। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর এক রাতে গ্রামের ১২০ বছরের পুরোনো কালীমন্দির গুঁড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। সরণ দত্ত বলছিলেন, ‘কেবল ভেঙেই ক্ষান্ত হয়নি ওরা। ভাঙা মূর্তি নিয়ে নৃত্য করতে থাকে।’গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ‘রাজনৈতিক সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় দাঁড়িয়ে এভাবেই নিজেদের দুর্দশার কথা বলছিলেন দুজন। ওঁদের কথা শুনে সভার সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলছিলেন, ‘১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাবিনি, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসবে। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।’নাগরিক সংগঠন রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ আয়োজিত এ সভায় তিনি বললেন, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন শুরু হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্ব সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসছে না এসব বন্ধ করতে।’গত ৭১ ঘণ্টার অবরোধে ২২ জন নিহত হয়েছেন, এ কথা জানিয়ে সভার আলোচক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বললেন, দিনের পর দিন এভাবে সংঘাত ছড়ালেও সরকার বিরোধী দলকে আর বিরোধী দল সরকারকে দায়ী করছে।অবরোধ ও হরতালে সৃষ্টি হওয়া সহিংসতা অন্য সব সহিংসতাকে হার মানিয়েছে বলে মনে করেন সভার আরেক আলোচক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, ‘জনগণ অত্যন্ত শক্তিশালী। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে তারা এক-তৃতীয়াংশে পরিণত করতে পারে।’সভার সঞ্চালক অধ্যাপক এম এম আকাশ বললেন, ‘আমরা ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি আর পাকিস্তানপন্থী বাংলাদেশ হতে দেব না।’সভায় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’-এর সদস্য সারওয়ার আলী। বলা হয়, উপর্যুপরি হরতালে জনদুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার পরিবর্তে সরকার বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করে সমস্যা ঘনীভূত হয়েছে।গাজীপুর ও টঙ্গী নিয়ে গাজীপুর-২ আসন। এই আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান ওরফে রাসেল। ওই আসনে অন্য প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। নির্মমভাবে খুন হওয়া সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি। বাবার আসনে সাংসদ হওয়া জাহিদ আহসান গত পাঁচ বছরে নিজে ৫০৮ ভরি স্বর্ণ উপহার পেয়েছেন। আর তাঁর স্ত্রী পেয়েছেন ৩৬২ ভরি স্বর্ণ। নগদ অর্থে যার বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। অথচ ২০০৮ সালে তাঁর নিজের স্বর্ণ ছিল মাত্র ১০ ভরি। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। জাহিদ আহসান প্রথম আলোকে বলেন, বিয়েতে প্রায় সাত-আট হাজার মেহমান দাওয়াত করা হয়েছিল। সাংসদ হওয়ায় দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাংসদ ও মন্ত্রীরা তাঁর দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেছেন। এত লোকের আয়োজন থেকে স্বর্ণগুলো বিয়ের মেহমান আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেই এসেছে। জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে জাহিদ আহসানের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণও অনেক বেড়েছে। ৮৭০ ভরি স্বর্ণ ছাড়াও একই সময়ে তিনি ৬৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি ল্যান্ড ক্লুজার জিপের মালিক হয়েছেন। তাঁর রয়েছে আরও একটি জিপ, যার মূল্য দেখান দুই কোটি এক লাখ ৫ হাজার ৪৯০ টাকা। এই জিপটি ২০০৮ সালে হলফমানায়ও উল্লেখ ছিল। তবে গাড়িটি তিনি নিজে ব্যবহার করেন না বলে জানা গেছে। জাহিদ আহসান প্রথম আলোকে বলেন, গাড়ি দুটির মধ্যে ল্যান্ড ক্লুজার গাড়িটি তিনি নিজেই ব্যবহার করেন। আর দুই কোটি মূল্যের জিপটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি, সেটি তার কাছে নেই। তবে কোথায় আছে, সেটি তিনি বলতে চাননি।জাহিদ আহসানের নগদ টাকা রয়েছে আট লাখ ৫৫ হাজার, ব্যাংকে জমা এক লাখ ৭০ হাজার, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ চার লাখ ৮৩ হাজার ১৬৪ টাকা। আর স্ত্রীর নামে নগদ টাকা রয়েছে তিন হাজার ৩০৫ টাকা ও কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। জাহিদ আহসানের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে উত্তরা তৃতীয় পর্বের ১৬ নম্বর সেক্টরে ১৭ নম্বর প্লট। কত কাঠার তা উল্লেখ নেই। প্লটের কিস্তি বাবদ জমা দিয়েছেন ২৩ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে তাঁর নগদ অর্থ ছিল মাত্র ১৫ হাজার। ব্যাংকে জমা ছিল ৭০ হাজার। তবে কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০০৮ সালে জাহিদ আহসান আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে সুদহীন ঋণ নিয়েছিলেন দুই কোটি এক লাখ। ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা। |
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির (পিজিসিএল) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে গ্যাস-সংযোগের জন্য ফাইল সই প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদাপত্রের সঙ্গে সমানতালে রাইজার উত্তোলন না হওয়ায় ফাইল ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে।পিজিসিএল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে দুই হাজার ৫৭৫টি চাহিদাপত্র (ডিমান্ড নোট) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরপর একটি ফাইলও স্বাক্ষর করা হয়নি। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক হাজার ১৭০টি বাসায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে।বর্তমান ঠিকাদার দুই হাজার রাইজার উত্তোলন করতে পারবেন। এরই মধ্যে ঠিকাদারকে এক হাজার ৯২৯টি রাইজার উত্তোলনের জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হলে এর বেশি রাইজার উত্তোলন করা সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় ফাইল ছাড়া হলে গ্রাহকেরা সংযোগ পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠবেন। গ্রাহকদের বাড়তি চাপ এড়াতে রাজশাহী কার্যালয়ে চাহিদাপত্রের ফাইল ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়ার চলছে। নতুন ঠিকাদারকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তিন হাজার রাইজার উত্তোলন করার শর্ত দেওয়া হয়েছে।জানতে চাইলে পিজিসিএলের উপব্যবস্থাপক তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, যে পরিমাণ রাইজার উত্তোলন করা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ফাইল ছাড়া হয়েছে। এ জন্য আপাতত ফাইল ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের আগে আবার কিছু ফাইল ছাড়া হবে।স্থানীয় সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সম্প্রতি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। যে ১৩ হাজার আবেদন পড়েছে, তার সংযোগ আগামী নির্বাচনের আগেই দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।মানিকগঞ্জে এক চালক ও এক কর্মকর্তার হাত-পা বেঁধে একটি পিকআপ ভ্যান ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া হাইওয়ে থানার কাছে এ ঘটনা ঘটে।পিকআপ ভ্যানটি কৃষিকাজে ব্যবহূত সামগ্রীর বিক্রয়প্রতিষ্ঠান যশোরের বাইসান ট্রেডার্সের।প্রতিষ্ঠানটির মালিক প্রণব মুখার্জি প্রথম আলোকে জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল থাকায় রাতে প্রতিষ্ঠানের একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-১১-৩৫৭০) নিয়ে ঢাকার কল্যাণপুর থেকে যশোরে যাচ্ছিলেন চালক খায়রুল ইসলাম। খালি ওই গাড়িতে প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা তিমির বিশ্বাসও ছিলেন। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোলড়া এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধকের কারণে গাড়িটির গতি কমানো হয়। এ সময় ছিনতাইকারী দলের পাঁচ সদস্য অতর্কিত গাড়ির গেটের কাছে এসে খায়রুল ও তিমিরের চোখ বেঁধে ফেলে। পরে তাঁদের হাত-পা বেঁধে সড়কের পাশে ফেলে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক চেষ্টার পর ভোর চারটার দিকে বাঁধন খুলতে পারেন তিমির। পরে তিনি চালককেও বাঁধনমুক্ত করেন।এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রণব মুখার্জি। সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, গাড়িটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৯৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন।এর মধ্যে জাপা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর আহমদের আসনে (কুমিল্লা-১১) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিতর্কিত আইসিএল গ্রুপের কর্ণধার ও জাপার ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এন এম শফিকুর রহমানকে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির সম্মানে একমাত্র কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।জাপার প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, এরশাদ তিনটি—রংপুর-৩, লালমনিরহাট-১ ও ঢাকা-১৭ আসনে; রওশন এরশাদ দুটি—গাইবান্ধা-৫ ও ময়মনসিংহ-৪ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। এরশাদের ভাই জি এম কাদের লালমনিরহাট-৩ আসনে, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ এবং জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু দুটি চট্টগ্রাম-৬ ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১ আসনে এবং তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।জাপার মনোনীত উল্লেখযোগ্য অপর প্রার্থীরা হলেন রংপুর-১ আসনে মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৪ করিম উদ্দিন ভরসা, কুড়িগ্রাম-২ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, যশোর-৬ মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা-১ সুনীল শুভরায়, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-১ মোস্তফা জামাল হায়দার, ময়মনসিংহ-১০ হাবিবুল্লাহ বেলালী, নেত্রকোনা-২ ফকির আশরাফ, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-২ এস এম আবদুল মান্নান, মুন্সিগঞ্জ-১ শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা-১ সালমা ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ নাসিম ওসমান, হবিগঞ্জ-৩ আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ জাহাঙ্গীর মো. আদেল, চাঁদপুর-৩ এস এম এম আলম, ফেনী-১ এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ফেনী-২ হাজি আলাউদ্দিন, ফেনী-৩ রিন্টু আনোয়ার, নোয়াখালী-৬ আনোয়ারুল আজিম ও পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনে সোলায়মান আলম শেঠ।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসনের প্রার্থী সরকারদলীয় সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী হলফনামায় গুলশানে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনটির উল্লেখ করেননি। নকশা অনুমোদন হওয়ার প্রায় ছয় মাস আগেই তিনি ওই ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছ থেকে নিকুঞ্জে পাওয়া তিন কাঠার প্লট বেআইনিভাবে পাঁচ কাঠা নয় ছটাক ১০ বর্গফুট করান। এ জন্য ফজলে করিম চৌধুরী জমির দাম দিয়েছেন ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৯ টাকা। যদিও বাড়তি জমির বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্যই হলফনামায় নেই। যোগাযোগ করা হলে ফজলে করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বাড়িটির নির্মাণকাজ যখন শেষ হবে, তখন হিসাব দেওয়া হবে। আগে দেওয়ার কী আছে? হলফনামায় যা আছে: হলফনামা অনুসারে ফজলে করিম চৌধুরীর আড়াই কোটি টাকার চা-বাগান ও মৎস্য খামার রয়েছে। আর অকৃষি জমি আছে এক কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকার। ২০০৮ সালে দেওয়া হলফনামায় এর কোনো উল্লেখই ছিল না। ওই সময়ের হলফনামায় ফজলে করিম চৌধুরীর যৌথ মালিকানায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের পৈতৃক দ্বিতল আবাসিক ভবনের উল্লেখ ছিল। এবারের হলফনামায় ওই ভবন ছাড়াও রাউজানের গহিরায় এফ কে টাওয়ারের কথা উল্লেখ করেছেন, যার মূল্য ৯৫ লাখ ২৮৬ টাকা। পাঁচ বছর আগের হলফনামা অনুযায়ী ফজলে করিমের দুটি মোটরগাড়ি আছে, যার মূল্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর এবার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। অকৃষি জমি আগে ছিল নিজ নামে ২৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৫ টাকার, এবার একই পরিমাণ জমির মূল্য দেখানো হয়েছে এক কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৯০ টাকা। ফজলে করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবারের সব মিলিয়ে সাত-আট কোটি টাকার বেশি সম্পদ হবে না। কেন শুধু শুধু আমাদের ওপর লাগছেন? আমি যা করেছি, সব বৈধভাবে করেছি। আমি কোনো অন্যায় করিনি।’ গুলশানের বহুতল ভবন: ফজলে করিম চৌধুরী গুলশান লেকের ধারে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে। গৃহায়ণ ও গণপূর্তবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে নকশা অনুমোদনের আগে প্রভাব খাটিয়ে তিনি নির্মাণকাজ শুরু করেন। রাজউকের গুলশান এলাকার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ওই ভবনটির নকশা অনুমোদন হয় গত আগস্টে। অনুমোদনের আগে কাজ শুরু করায় ফজলে করিম চৌধুরীর কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে ১১ গুণ বেশি হারে অনুমোদন ফি নেওয়া হয়। ফজলে করিম এ বিষয়ে বলেন, নকশা অনুমোদনের আগে নির্মাণকাজ শুরু করেননি। তাহলে ১১ গুণ জরিমানা নেওয়া হলো কেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নেওয়া হয়েছে নাকি, আমি তো জানি না।’ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির তিনতলার ছাদ ঢালাইয়ের পর এখন চারতলার কাজ চলছে। নির্মাণ শ্রমিকেরা বলেন, এখানে দশতলা ভবন তৈরি হবে। যদিও সেখানে সাততলার নকশা অনুমোদন করা হয়েছে। বাজারমূল্যে বিক্রি হয়নি: বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়ম করা হয়েছিল, অন্য কোনো আবাসিক প্রকল্প থেকে গুলশান-বনানীর মতো এলাকায় প্লট পরিবর্তন করতে হলে অতিরিক্ত জমি কিনতে হবে বাজারমূল্যে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে (ডেভেলপার) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুলশানে অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫৭ কাঠা জমির ন্যূনতম দর হবে প্রায় ১২ কোটি টাকা। কিন্তু ফজলে করিমকে পুরো প্লটের জন্য দিতে হয়েছে মাত্র ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৯ টাকা। প্রতি কাঠা ১০ লাখ টাকা হিসাবে। ফজলে করিম এ বিষয়ে বলেন, গুলশানে প্লটের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে আবেদন করেছিলেন। সে আবেদনে প্লট পাননি। তবে নিকুঞ্জে প্লট পেলেও তিনি প্লট পরিবর্তনের চিঠিতে গুলশানের জন্য আবেদন করেছিলেন। গুলশানে প্লট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। তাই বাড়তি টাকা দেওয়ার কথা নয়। রাজউকের খরচে উন্নয়ন: ফজলে করিমের বাড়িতে যাতায়াতের জন্য রাজউক প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে একটি পাকা রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। সেখানে রাজউকের নিজস্ব স্টিমরোলার ব্যবহার হয়েছে। লেকপাড় না ভাঙার জন্য নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরিতে আরও অর্থের প্রয়োজন হবে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ফজলে করিম চৌধুরী তাঁর প্লটের সামনের খালি জায়গায় বোটক্লাব (নৌকা ভ্রমণের জন্য) ও লেকের ধারে শান বাঁধানো ঘাট চেয়েছেন। ফজলে করিম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি না বললেও এগুলো হবে। কারণ গুলশান লেক উন্নয়ন প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যানে তাঁর নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে এসব স্থাপনার উল্লেখ আছে। তবে গুলশান-বারিধারা-বনানী লেক উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক কোম্পানি ভিত্তি স্থপতিদের প্রধান ইকবাল হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফজলে করিম চৌধুরী তাঁর বাড়ির সামনে আলাদা স্থাপনা যুক্ত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় আমরা রাজি হতে পারছি না বলে জানিয়েছি।’ |
১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘রাজশাহী গ্যাস বিতরণ প্রকল্প: বছরে ২২ লাখ টাকা ভ্রমণব্যয়, তদন্ত করছে দুদক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) ও রাজশাহী গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক প্রকল্পের সাবেক পরিচালক রেজাউল ইসলাম খান। তিনি দাবি করেছেন, একটি বেনামি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তদন্ত শুরু করেছে। সংবাদের অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ অসত্য ও বস্তুনিষ্ঠবিবর্জিত বলে দাবি করেন তিনি। প্রকল্পের ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা সাশ্রয়েরও দাবি করেছেন তিনি।প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদনে দুদকে পেশ করা অভিযোগের বিবরণ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগগুলো প্রথম আলোর পক্ষ থেকে করা হয়নি। আর অভিযোগটি বেনামি নয়, এতে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির এক কর্মকর্তার নাম ছিল। রেজাউল ইসলাম খান যে টাকা সাশ্রয়ের দাবি করেছেন, তা প্রতিবেদনেই বলা ছিল।মানিকগঞ্জের একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে অবৈধভাবে এক প্রসূতির গর্ভপাত করিয়েছেন সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক। প্রায় পাঁচ মাস বয়সের ভ্রূণটি ছিল মেয়েশিশুর।বাংলাদেশের গর্ভপাত আইন (১৮৬০-এর ব্রিটিশ পেনাল কোড) অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বার জীবন বাঁচানো ছাড়া অন্য কোনো কারণে গর্ভপাত নিষিদ্ধ।এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩১২ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের গর্ভপাত ঘটান এবং যদি সেই গর্ভপাত সরল বিশ্বাসে ওই স্ত্রীলোকের জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে না করা হয়ে থাকে, তবে সেই ব্যক্তি তিন বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।সিঙ্গাইর উপজেলার বাইমাইল গ্রামের দেওয়ান জহিরুল প্রথম আলোকে জানান, দুই ছেলে হওয়ার পর তাঁরা চেয়েছিলেন, একটি মেয়ে হোক। সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক কৃষ্ণা রায়ের পরামর্শে ১০ অক্টোবর মানিকগঞ্জ শহরের সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তাঁর স্ত্রীর (২৮) আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। পরীক্ষার সময় চিকিৎসক সেলিম চৌধুরী জানান, তাঁদের একটি ছেলে হবে। এরপর ২৬ অক্টোবর জেলা শহরের ওয়্যারলেসগেট এলাকায় শাপলা মেডিকেল সেন্টারে তাঁর স্ত্রীর গর্ভপাত ঘটান চিকিৎসক কৃষ্ণা রায়।কিন্তু গর্ভপাত করানোর পর দেখা যায়, ভ্রূণটি মেয়েশিশুর। ওই দিন রাতেই তাঁরা বাড়ি চলে যান।আলট্রাসনোগ্রাম করা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুলের অভিযোগ এনে ওই দম্পতি ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরা গতকাল বুধবার দুপুরে সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে হট্টগোল করেন। কোনো চিকিৎসক না থাকায় পরে তাঁরা বাড়ি চলে যান।এ ব্যাপারে চিকিৎসক সেলিম চৌধুরী প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি ঠিকভাবেই আলট্রাসনোগ্রাম করেছিলেন। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, ওই অন্তঃসত্ত্বার গর্ভে ছেলেশিশুর ভ্রূণই ছিল।তবে চিকিৎসক কৃষ্ণা রায় বলেন, ওই নারীর গর্ভে মেয়েশিশুর ভ্রূণই ছিল। ভুল আলট্রাসনোগ্রামের কারণে ওই দম্পতি আর ছেলেসন্তান নেবেন না বলে আকুতি-মিনতি করায় তিনি প্রায় পাঁচ মাসের ভ্রূণটি অপসারণ করেন।যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন সিদ্ধেশ্বর মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, কেবল ওই দম্পতিই নন, চিকিৎসক কৃষ্ণা রায়ও অপরাধী। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঢাকার শাহবাগে বিহঙ্গ পরিবহনের বাসে ছুড়ে মারা আগুনে পুড়ে নিহত নাহিদ মোড়ল (১৮) ও তাঁর মামাতো ভাই রবিন মাদবরের (২২) গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম। একসঙ্গে গ্রামের দুই তরুণকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর (মোড়লকান্দি) গ্রামের লোকজন।নাহিদদের বাড়িতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মা রুনি বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। আর্তনাদ করে বলছিলেন, ‘ছেলেকে আমি বলি, বাবা, এই হরতাল-অবরোধের মধ্যে তোর ঢাকায় যাওয়ার দরকার নাই। ছেলে বলে, ‘‘মা আজ কোনো হরতাল নাই, আমি কাল সকালেই চলে আসব।’’ কিন্তু কে জানত আমার ছেলে রাজনীতির বলি হবে?’নাহিদের বাবা সরোয়ার মোড়ল কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা পর্যন্ত নাহিদ আমার সঙ্গে মাঠে কাজ করেছে। বলল, শীতের পোশাক কিনতে রবিনের সঙ্গে ঢাকায় যাবে।’পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে নাহিদ তৃতীয়। স্থানীয় কুতুবপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়তেন। পাশাপাশি বাবার সঙ্গে জমিতেও কাজ করতেন। বিদেশে যাওয়ার জন্য দুই মাস আগে পাসপোর্ট করেন নাহিদ।নাহিদদের পুরোনো বাড়িতে কবর খুঁড়ছিলেন তাঁর দাদা আবদুর রউফ মোড়ল। বললেন, ‘নাতির কবর খুঁড়তে হবে, জীবনেও কল্পনা করিনি।’নাহিদদের বাড়ির পাশেই রবিনদের বাড়ি। সেখানে চলছিল রবিনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাবিয়ার আর্তনাদ। কোনো সান্ত্বনাই তাঁর কান্না থামাতে পারছিল না।মাবিয়া বলছিলেন, ‘আমরা তো কোনো দোষ করি নাই। আমাগো কেন এইভাবে মরতে হইব। আইজ কার দোষে সন্তানের মুখও ওর বাপ দেইখা যাইতে পারল না?’বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবিনের দগ্ধ হওয়ার খবর শুনেই তাঁর বাবা কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম মাদবর ও মা আকলিমা বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ছুটে যান।স্বজনেরা জানান, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে রবিন সবার বড়। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। কাজ করতেন ঢাকার সাভারের একটি পোশাক কারখানায়।কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার ব্যাপারী বলেন, একই গ্রামের দুটি প্রাণ এভাবে চলে যাওয়ায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশের রাজনীতিবিদদের প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে গেলেন এই অসহায় বাবা-মায়ের সন্তানেরা। অনাগত সন্তানের মুখও দেখে যেতে পারলেন না হতভাগ্য রবিন।জাতীয় প্রেসক্লাব ও সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সরকার-সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেননি। তাঁরা পতাকা মিছিল করছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ইংরেজি নববর্ষের নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথাই বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিন অতিরিক্ত কমিশনার মিলি বিশ্বাস, ইব্রাহিম ফাতেমী ও শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান।একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন ঢাকার রাস্তায় মানুষ যেন চলাচল করতে পারে, সে জন্য পুলিশ সব সময় তৎপর। কিন্তু একজন বিশিষ্ট নাগরিকের বাড়ির সামনে দুই দিন ধরে পাঁচটি বালুভর্তি ট্রাক পড়ে আছে, এগুলো সরানো হচ্ছে না কেন—জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘নো কমেন্ট’।সর্বোচ্চ আদালতে, প্রেসক্লাবে পুলিশের সামনেই সরকার-সমর্থক সন্ত্রাসীরা লাঠি-হকিস্টিক হাতে হামলা চালিয়েছেন। পুলিশ কেন তাঁদের ক্ষেত্রে নমনীয় ছিল জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘আমরা যেটা জানি তাঁরা পতাকা মিছিল করেছে। এখন এটাকে লাঠি হিসেবে কনভার্ট করেন, আমি সেভাবে দেখব না।’ তিনি বলেন, ‘আর হাইকোর্টে হামলার যে বিষয়টি বলছেন আপনারা... ওইভাবে বলাটা ঠিক হবে না।’এরপর কমিশনার বলেন, প্রেসক্লাব ও হাইকোর্টের ভিন্ন আবেদন, মর্যাদা ও চরিত্র রয়েছে। সেটির সুযোগে ক্রমাগতভাবে এই দুটোকে ঢাল হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলোকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যাঁরা ব্যবহার করেন তাঁদের ভাবার কোনো কারণ নেই যে এগুলোতে শুধু তাঁদের অধিকার রয়েছে, অন্য কারোর নয়। এই আদালত সবার। এই প্রেসক্লাব সবার। এটা জাতীয় প্রেসক্লাব।কমিশনার বলেন, আমরা প্রেসক্লাবকে ভিন্ন চোখে দেখি। এখন সেটা যেন বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর রাজনীতির আখড়ায় পরিণত না হয়। এমনও দেখেছি জঙ্গিবাদীরাও সেখানে বসে মিটিং করছে। এই যে ভিন্ন চোখে দেখা, সেটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক হবে না।উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রেসক্লাব আপনাদের সবার। তার পরও দেখি সবাই প্রেসক্লাবের সদস্য হতে পারে না। একটা গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রাখবে, তা তো হতে পারে না।কমিশনারের দাবি, ‘একইভাবে আদালতকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখান থেকে ক্রমাগত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইট-পাটকেল ছোড়া হচ্ছে পুলিশের দিকে। রোববার সেখানে দুটি রাজনৈতিক পক্ষ মুখোমুখি হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পুলিশ সেখানে ঢুকেছে। আদালত কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব কেউ যেন আদালতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করতে পারে। আমি আদালতকে অনুরোধ করব একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যাঁরা এগুলো করেন তাঁদের বহিষ্কার করতে। আমরা দেখেছি বাইরে থেকে ক্যাডার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাঁরা আইনজীবী নন, তাঁরাও সেখানে গিয়েছেন। এগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা দরকার।’প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ: এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। তাঁরা দাবি করেছেন, প্রেসক্লাবে জঙ্গিবাদীরা মিটিং করে, একটি বিশেষ গোষ্ঠী প্রেসক্লাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে—কমিশনারের এ বক্তব্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।তাঁরা বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার এ ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত ও সাংবাদিকদের প্রতি কটাক্ষ। গত ষাট বছরে কোনো সরকারি কর্মকর্তা প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন বলে নজির নেই। এ ধরনের বক্তব্য সুদূরপ্রসারী কোনো ষড়যন্ত্রের পূর্বলক্ষণ বলে আমরা মনে করি। |
বেশ ব্যস্ত সময়ই কাটাচ্ছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। মাত্র কিছুদিন হলো ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে দেশে ফেরা দলটি আবার যাচ্ছে দেশের বাইরে। এবার গন্তব্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের তরুণেরা ক্যারিবিয়ার বিমানে উঠছেন আগামীকাল। ২১ দিনের সফরে দলটি সাতটি এক দিনের ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে। ৫ অক্টোবর সফরের প্রথম ম্যাচটি অবশ্য গায়ানা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। পুরো সিরিজই হবে গায়ানার চারটি ভেন্যুতে। ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে। এ ছাড়া বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে ছয়জনকে। দলের সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে যাচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার এহসানুল হক।ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় চলাচলকারী এসবি লিংক পরিবহনের বাসচালক কুরবান আলী (৩২), ধামরাইয়ের ভালুমের দেলোয়ারা বেগম (৫০), বড় জেঠাইলের আবদুল মজিদ (৪০) ও আশুলিয়ার নবীনগরের মজনু (৩০)। ঘটনার পর স্বজনেরা লাশ নিয়ে যাওয়ায় অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।ধামরাই থানার পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মহাসড়কের জয়পুরা এলাকায় পাল সিএনজি পাম্পের কাছে সাটুরিয়াগামী এসবি লিংকের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ডিলিংক পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একটি বাস আরেকটির ভেতরে ঢুকে গিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান। এ ছাড়া ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুজন।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাল সিএনজির কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, সাটুরিয়াগামী বাসটি দ্রুতগতিতে একটি ট্রাককে অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বিকট শব্দ শুনে তিনি ও আশপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান। আহত যাত্রীদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম সরদার জানান, ধামরাইগামী ডিলিংক পরিবহনের বাসে কোনো যাত্রী ছিল না। বাসটির চালক ও তাঁর সহযোগী আহত হয়েছেন।আরও এক মেসিকে পাওয়া গেল এবার। স্কটিশ এই মেসিকে পেতে চায় ইংলিশ লিগের শীর্ষ দল আর্সেনাল। আসল নাম অবশ্য মেসি নয়, রায়ান গোল্ড। স্কটিশ ক্লাব ডান্ডি ইউনাইটেডের ১৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের খেলার সঙ্গে নাকি আর্জেন্টাইন জাদুকরের দারুণ মিল। এ কারণেই সতীর্থরা তাঁকে ডাকে ‘মেসি’। গতকাল কিলমারনকের সঙ্গে ডান্ডির ম্যাচ দেখতে তাই স্কটল্যান্ড গেলেন আর্সেনাল প্রতিনিধি। অবশ্য মেসির সঙ্গে তুলনাটা মোটেই পছন্দ নয় গোল্ডের। লাজুক মুখে বললেন, ‘কেউ কোনো দিন মেসি হতে পারবে না। বল পায়ে সে যা করে সেটা স্রেফ রসিকতা!’ ওয়েবসাইট।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন ঘিরে সারা দেশে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৬০০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। গত রোববার রাতে ও গতকাল সোমবার শুধু রাজধানী থেকেই ৪২৭ জনকে এবং দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ১৬৮ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। নাশকতার অভিযোগ ও সহিংসতার আশঙ্কায় রাজধানীসহ দেশের ১২টি জেলার ১৫টি স্থান থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রোববার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এঁদের মধ্যে ১৭৫ জনকে ঢাকা মহানগর পুলিশ আইনে এবং ২২৮ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৬৯ জনকে এক থেকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ১৬১ জনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদসহ বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার রাতে কেরানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের নেতা আবদুর রাজ্জাককে আটক করা হয়। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ কদমতলী থেকে কামরাঙ্গীরচর থানার জাসাসের আহ্বায়ক মো. মামুনসহ তিনজনকে আটক করে। নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে আটক করা হয় তিনজনকে।চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌর-সভার চরপাড়া এলাকায় গতকাল ভোরে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৩ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। সীতাকুণ্ড পৌরসভার পন্থিছিলা-শেখপাড়া ওয়ার্ডের জামায়াতপন্থী কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনসহ ১৩ জনকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে সাতজন জামায়াত-শিবির ও ছয়জন বিএনপির নেতা-কর্মী বলে পুলিশ জানায়। বগুড়ার শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের ঠেংগারগাঁথি আদর্শ গ্রাম থেকে রোববার রাতে বিএনপির চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া, শেরপুরের ভবানীপুর বাজার এলাকা থেকে চরমপন্থী সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।দিনাজপুরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ২৬ কর্মীকে গতকাল ভোরে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে ১০ জন জামায়াত-শিবিরের এবং ১৬ জন বিএনপির। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় গতকাল জামায়াতের গয়হাট্টা ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জামায়াত-শিবিরের ২৫ নেতা-কর্মীকে এবং ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তিনজনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রোববার রাতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি পোড়ানোসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে মামলা রয়েছে। বড়লেখা উপজেলা থেকে গতকাল ভোরে মো. সেলিম ও আবদুল হেকিম নামে জামায়াতের দুই কর্মী এবং কুলাউড়ায় বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাগেরহাটের রামপাল থেকে আবু তাহের (৪২) নামের জামায়াতের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রামপালের ফয়লা বাসস্ট্যান্ডে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত কর্মী আবু তালেবকে (৬০) গতকাল বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে রোববার রাত থেকে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো। কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে রোববার ভোর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৩৯ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে বিএনপির ২২ ও জামায়াত-শিবিরের ১৭ জন। এ ছাড়া, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে চারজনকে আটক করা হয়। লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ কমলনগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ছয়, সদর উপজেলা থেকে এক, রামগঞ্জ উপজেলা থেকে এক এবং রামগতি থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে। |
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, সরকার একা নির্বাচন করতে চায়। কাউকে সঙ্গে নিতে চায় না। কেননা, পরাজয় হবে জেনে তারা নির্বাচনকে ভয় পায়।গতকাল রোববার বিকেলে খুলনার সার্কিট হাউস মাঠে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। তিনি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের আন্দোলন ও গণতন্ত্র রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, বেসামরিক প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।বিরোধীদলীয় নেতা আবারও বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট তাতে অংশ নেবে না এবং সেই নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেখব। এখনো সময় আছে, সরকারের উচিত সংসদে বিল এনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।’এ ছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। তিনি ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগও আনেন। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ১৮ দল এই জনসভার আয়োজন করে। একই দাবিতে ইতিমধ্যে নরসিংদী, রংপুর ও রাজশাহীতে জনসভা করেছে তারা। এরপর ৫ অক্টোবর সিলেটে জনসভা হবে। আর ঈদের পর চট্টগ্রাম ও ঢাকায় জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে।রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়: গতকালের জনসভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই, কিন্তু রামপালের মতো জায়গায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে দেওয়া যাবে না। এটা বন্ধ করতে হবে, অন্য জায়গায় করতে হবে। এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। পশুপাখি, মাছ, বাঘ কিছুই থাকবে না। খুলনা অঞ্চলের মানুষ বসবাস করতে পারবে না। পানি নষ্ট হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি একটা বানিয়েছে। এরা লংমার্চ করে এসেছে। আমি তাদের বলব, আমরা আপনাদের পাশে আছি। যা সহযোগিতা লাগবে বলবেন। দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করতে প্রস্তুত আছি।’অবশ্য এই জাতীয় কমিটি খালেদা জিয়ার সরকারের সময় যখন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, তখন (২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট) আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছিল। তাতে তিনজন নিহত হন।প্রতিশ্রুতি: বিরোধীদলীয় নেতা তাঁর ৫০ মিনিটের বক্তব্যে বিএনপি সরকারের সময়ের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় গেলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং খুলনাকে শিল্পনগরের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে নতুন শিল্প স্থাপন ও বন্ধ শিল্প কলকারখানা চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ক্ষমতায় গেলে নতুন ধারার সরকার ও রাজনীতি করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।অভিযোগ ও আহ্বান: বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, সরকারদলীয় লোকজন ব্যাংক ও শেয়ারবাজার লুট করেছে। দেশ এখন ডাকাতের কবলে। এখন আর মানুষ ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয়। ঘরে ঢুকেই সন্ত্রাসীরা মানুষ হত্যা করছে। সরকার পোশাকশিল্পকে ধ্বংস করতে চায়। এরা যত দিন থাকবে, তত দিন কেবল ক্ষতিই হবে। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।পথে পথে তোরণ: খুলনায় খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী থেকে খুলনা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে শত শত তোরণ নির্মাণ করা হয়। ছিল অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুন। তবে সিলেটের মতো খুলনার বিলবোর্ডগুলো বিএনপি দখল করেনি।বিকেল চারটায় জনসভা মঞ্চে খালেদা জিয়ার ওঠার কথা থাকলেও গতকাল ভোর থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সার্কিট হাউস মাঠে আসতে থাকেন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সকাল আটটার মধ্যে মঞ্চের সামনের জায়গায় অবস্থান নেন। সকাল নয়টার মধ্যে সার্কিট হাউস মাঠের এক-তৃতীয়াংশ ভরে যায়। দুপুরের মধ্যে লোকসমাগম মাঠ ছাড়িয়ে যায়। তবে দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হলে মাঠে মানুষের ভিড় কমতে থাকে। খালেদা জিয়ার বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই অনেকে মাঠ ত্যাগ করেন।খালেদা জিয়া শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে রওনা হন। যশোরে রাত যাপন করেন। গতকাল দুপুরে যশোর থেকে খুলনায় যান। জনসভা শেষে তিনি আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মো. ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামীসহ ১৮-দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।সাঈদীপুত্রের হুমকি: খুলনা অফিস জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী গতকালের সমাবেশে বলেন, ‘সরকার ষড়যন্ত্র করে শতাব্দীর নিকৃষ্টতম অভিযোগে আমার পিতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সাড়ে তিন বছর ধরে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। শুধু বন্দী করে রেখেই ক্ষান্ত হয়নি, তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় পর্যন্ত দিয়েছে।’ তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘সরকার ফাঁসির রায় কার্যকর করার মতো দুঃসাহস দেখালে এই বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে।’ সাঈদীর ছবি লাগানো ব্যানার ও ফেস্টুন নেড়ে এ বক্তব্যে সমর্থন জানান জামায়াত-শিবিরের উপস্থিত নেতা-কর্মীরা।ভালো লোক নিয়ে আসব: প্রথম আলোর যাশোর অফিস জানায়, গতকাল সকালে যশোর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ওই জেলার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘এবার নতুন আঙ্গিকে সরকার গঠন করা হবে। আমরা ঐক্যের রাজনীতি করব। জাতিকে বিভক্ত রেখে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। দেশ গঠনের জন্য ভালো ভালো লোককে নিয়ে আসব।’বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় যাবে। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কী পেলাম সেই চিন্তা না করে, কী দিলাম সেই চিন্তা করতে হবে। নির্বাচনে জিততে হবে। যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাঁর পক্ষে কাজ করতে হবে।’খালেদা জিয়া দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতিবাজেরা কোথায় কোন দেশে টাকা পাচার করেছে, বিএনপির কাছে সেসব তথ্য-উপাত্ত আছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতি করব না। তাদের কিছুই করব না। তার পরও তারা ভয়ে ক্ষমতা ছাড়ছে না।’জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে ঐতিহাসিক গোলাইডাঙ্গা দিবস পালিত হয়েছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে গতকাল বুধবার দুপুরে সিঙ্গাইর উপজেলার বলধরা ইউনিয়নের গোলাইডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দিবসটি পালিত হয়।অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তোবারক হোসেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসাইন, সদর উপজেলা কমান্ডার ওবায়দুর ইসলাম প্রমুখ।১৯৭১ সালের ২৯ অক্টোবর সিঙ্গাইরের গোলাইডাঙ্গায় সম্মুখযুদ্ধে ৮১ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেন মুক্তিযোদ্ধারা। গত মঙ্গলবার হরতালের কারণে গতকাল (৩০ অক্টোবর) দিনটি উদ্যাপন করা হয় বলে আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন।পছন্দের লোকদের ‘ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ-নেতারা। কয়েকজন রিটার্নিং কর্মকর্তার (জেলা প্রশাসক) সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা এ কথা জানান।কর্মকর্তারা জানান, এখন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। কিন্তু দলীয় ও ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী অবৈধ প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেন। এ নিয়ে তাঁরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন।নির্বাচন পরিচালনা বিধি অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার প্রাক্কালে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) খসড়া তালিকা তৈরি করতে হয়। সে অনুযায়ী কমিশন ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এই তালিকা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক চাপের কারণে অনেক জেলা প্রশাসক এ কাজটি যথাসময়ে করতে পারেননি। বিধিমালা অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে ওই তালিকা কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হয়। এরপর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর এসব কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ শেষে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।গতকাল কমিশন সচিবালয়ে গিয়ে জানা গেছে, জেলা থেকে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা এখনো আসেনি। বেশির ভাগ জেলা থেকে কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরির সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে।কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক বলেন, এসব বিষয়ে এখনো কমিশনে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে বিতর্কিত লোকদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।কমিশন সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ৩৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রে সাড়ে ছয় লাখের মতো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।এদিকে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কেউ টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো সেবা প্রতিষ্ঠানের বিলখেলাপি কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১০ নম্বর আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম (৪৫) গতকাল সোমবার যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। একই দিন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাইফুল ইসলামকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।যৌথ বাহিনীর ওপর জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলার পর দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ে আনারুল নিহত হন বলে পুলিশ দাবি করেছে। তবে পরিবারের দাবি, সাংবাদিক পরিচয়ে তাঁকে সকালে বাড়ি থেকে ডেকে নেওয়ার পর দুপুরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বেলা দেড়টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সদর উপজেলার কুশখালী ইউনিয়নের শিকড়ি এলাকার একটি পুকুরের পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান আনারুলকে উদ্ধার করেন। পরে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে আনারুল অবিবাহিত। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রবিউল ইসলাম জানান, আনারুলের গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও লাবসা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, আনারুল আগে বিএনপির সমর্থক ছিলেন। কিছুদিন ধরে তিনি জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।আনারুলের ভাবি পাপিয়া খাতুন জানান, সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি গতকাল সকালে আনারুলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁরা তাঁকে নিয়ে বাড়ির বাইরে যান। এর পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে জানতে পারেন, গুলিতে তিনি মারা গেছেন। তবে কীভাবে ও কারা তাঁকে হত্যা করেছে, তা তিনি জানেন না।পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের ভাষ্যমতে, যৌথ বাহিনী নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে ভাদড়া এলাকায় যায়। এ সময় জামায়াত-শিবিরের ২০০ থেকে ২৫০ জন কর্মী তাদের ওপর হামলা চালান। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ইটপাটকেল, ককটেল ও গুলি ছোড়েন। যৌথ বাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় এক ঘণ্টা গুলিবিনিময়ের পর হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে আনারুলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। সেখান থেকে একটি পাইপগান ও তিনটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আনারুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সদর থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে।আগরদাঁড়ি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, সরকারি গাছ কাটা ও নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে আনারুলকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেয়। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক সাইফুলকে বঙ্গবন্ধু সেতুর সংযোগ সড়কের বাঐতারা এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বাসুদেব সিনহার ভাষ্যমতে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা বিকেলের দিকে সাইফুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। পরে ওই সড়কের বেইলি সেতুর পাশে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাইফুলের বাড়ি বাঐতারা গ্রামে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম হোসেন আলী অভিযোগ করেন, ‘১৮ দলের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’অভিযোগের ব্যাপারে জানতে বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর গ্রেপ্তার এড়াতে বেশির ভাগ নেতা-কর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। |
পাবনায় নৃত্য চর্চার সংগঠন গন্তব্যর নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনব্যাপী নৃত্যানুষ্ঠান গত শনিবার রাতে শেষ হয়েছে। শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল মুক্তমঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-৫ আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক খোন্দকার। শুক্রবার সকালে শহরে বর্ষপূতি শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দুদিনব্যাপী নৃত্যানুষ্ঠান শুরু হয়। শনিবার আলোচনা ও নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।ছিনতাইয়ের স্পট হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে গতকাল বুধবার ভোররাতে ফাঁদ পেতে তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তার হওয়া তরুণেরা হলেন ফতুল্লার চাঁদমারী বস্তি এলাকার সিফাত আলম, ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার ফাইজুল ইসলাম ও পঞ্চবটি চাঁদনী হাউজিং এলাকার রাহাত মিয়া।অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গতকাল ভোররাতে সাদা পোশাকে দুই পুলিশ সদস্যকে একটি রিকশায় রামারবাগে পাঠিয়ে পুলিশের অন্য সদস্যরা আশপাশে ওত পেতে থাকেন। রিকশাটি ময়লার স্তূপের সামনে পৌঁছামাত্র একদল ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ওত পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে।কিউট জেলা হ্যান্ডবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নবাবগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। কাল তারা ৩২-১৯ গোলে হারিয়েছে জেলা হ্যান্ডবল একাডেমিকে। লিগের সেরা খেলোয়াড় নবাবগঞ্জ স্পোর্টিংয়ের আরিফ। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী।—নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জজয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহামঞ্চদপুর ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া বড়াইল গ্রামের মাঠ থেকে গতকাল সোমবার গলাকাটা তিন যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ তিনটি জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চাটনগর গাড়িদহ গ্রামের রমজান আলীর ছেলে বিপুল খন্দকার (৩০), আবদুল বাকির ছেলে সৈকত হোসেন (২৭) ও বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী উত্তরপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৫)। তাঁদের মধ্যে আসাদুল ঢাকা তিতুমীর কলেজের ডিগ্রির ছাত্র, বিপুল একটি বেসকারি সংস্থায় চাকরি করেন। স্থানীয় ও পাঁচবিবি থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে পাঁচবিবি উপজেলা সদর থেকে ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরে মোহামঞ্চদপুর ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া বড়াইল গ্রামের মাঠে তিনজনকে গত রোববার রাতের কোনো একসময় হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হতে পারে। গ্রামের লোকজন মাঠের ধান কাটার সময় জমিতে তিনটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। মোহামঞ্চদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হবিবর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন তাঁকে খবর দিলে তিনি থানায় খবর দেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহামঞ্চদ জানান, তিন বন্ধু জ্যাকেট কেনার কথা বলে গত শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে বিপুল খন্দকারের শ্বশুরবাড়ি হিলি হাকিমপুরে যান। এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনজনের পরিবারের সদস্যরা পাঁচবিবি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের লাশ শনাক্ত করেন। ওসি বলেন, আত্মীয়স্বজন তিনজনের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না। তবে মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে দুর্বৃত্তরা তিনজনকে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, তিনজনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। |
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। কিন্তু বিরোধী দল উন্নয়ন ব্যাহত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের এই অপচেষ্টা জনগণ রুখে দেবে।’গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বেড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জাবি বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ময়মন্দি গ্রামে বাড়ির পাশের বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলতে থাকা ধুন্দল বাঁশ দিয়ে নামাতে যান তিনি। এ সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে তাঁর শরীরে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাঁকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মুখোমুখি পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা, ডেল স্টেইন আউট করছেন মোহাম্মদ হাফিজকে। কিছুদিন ধরে ক্রিকেট-বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত দৃশ্যগুলোর একটি। কম তো নয়, এক ২০১৩ সালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বার স্টেইনের শিকার হয়েছেন হাফিজ। সব মিলিয়ে ২৮ ইনিংসে হাফিজকে ১৫ বার আউট করেছেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নির্দিষ্ট কোনো এক ব্যাটসম্যানের উইকেট সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন কার্টলি অ্যামব্রোস। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে ২১ বার আউট করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মার্ক ওয়াহকে।রংপুর বিভাগের আট জেলায় কোথাও যাত্রী পরিবহনের বাস চলাচল করছে না। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রোগীদের জরুরি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।রংপুর-বগুড়া-দিনাজপুর মহাসড়কের রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ আরও কিছু এলাকায় অটোরিকশার চলাচল দেখা যায়। বাস টার্মিনালে গতকাল বিকেলে ব্যাগসহ মালামাল নামাচ্ছেন একজন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা আবুল বাসেদ। তিনি বললেন, ‘বাস না থাকায় ভোরে রাজশাহী থেকে ট্রেনে রওনা দিয়েছি।ঢাকা থেকে রংপুর এসে আটকা পড়েছেন অনেকেই। এর মধ্যে গতকাল সকালে শহরের মডার্ন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, লোকজন বড় বড় ব্যাগ নিয়ে অটোরিকশা চেপে বসেছেন। ঢাকায় যাত্রা শুরু করেছেন শহরের কামালকাছনার সাজিন হোসেন, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। তাঁরা জানালেন, যেভাবেই হোক তাঁদের ঢাকা যেতে হবে।অটোরিকশার চালক আলী আজম বলেন, রংপুর থেকে বগুড়া যেতে ছয়বার অটোরিকশা বদল করতে হবে। এরপর একইভাবে বগুড়া থেকে থেমে থেমে ঢাকায় যাচ্ছেন মানুষজন। |
প্রশিক্ষণের টাকার জন্য কত হাপিত্যেশ ফেডারেশনগুলোর! জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) বারান্দায় ঘুরে ঘুরে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা ত্যক্তবিরক্ত। কিন্তু প্রশিক্ষণের টাকা যেন সোনার হরিণ!এটুকু পড়ে কেউ যদি বুঝে নেন, এনএসসির হাতে প্রশিক্ষণের জন্য টাকা নেই, ভুল। এএনসির প্রশিক্ষণ খাতে অর্থ বরাদ্দ কম সত্য, কিন্তু সেটিও খরচ হচ্ছে না!ক্রীড়াঙ্গনের জন্য উদ্বেগজনক এই চিত্র কাল উঠে এসেছে এনএসসির ২০১২-১৩ সংশোধিত বাজেট অনুমোদন এবং ২০১৩-১৪ বাজেট পাস সভায়। গত বছর প্রশিক্ষণ বাবদ এনএসসির বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার মতো। খরচ হয়েছে মাত্র ১৬ লাখের সামান্য বেশি! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, প্রতিভা খোঁজার জন্য বরাদ্দ এক কোটি টাকার পুরোটাই খরচ করলেও প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রশিক্ষণ বরাদ্দের মধ্যে মাত্র ১৬ লাখ খরচ হলো কেন?সোজা উত্তর, এনএসসি ফেডারেশনকে টাকা দিলেই তো খরচ হবে। সেই টাকাই দিচ্ছে না। হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরামের সভাপতি আসাদুজ্জামান কোহিনুরের কথায় তাই ক্ষোভ, ‘আমরা হ্যান্ডবলের পক্ষ থেকে বহুবার প্রশিক্ষণের জন্য টাকা চেয়েছি এনএসসির কাছে। কিন্তু টাকা মেলেনি। টাকা চাইলে এনএসসি পাত্তাই দেয় না।’এমন অবস্থায় ২০১৩-১৪ বছরে প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ১০ শতাংশ। মোট বাজেটের (১০৫ কোটি টাকা) যা একটা বিন্দু মাত্র (২ কোটি টাকা)। সভায় উপস্থিত একজন ফেডারেশন প্রতিনিধি এনএসসির কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন, এই অর্থ কি সারা দেশে খেলা পরিচালনা এবং প্রতিভা অন্বেষণে পর্যাপ্ত? এ প্রশ্নের উত্তর এনএসসির ভালোই জানা আছে। কিন্তু সরকারি এ প্রতিষ্ঠান চলছে পুরনো ধাঁচেই। বাজেটের প্রায় পুরোটাই চলে যাচ্ছে অবকাঠামো আর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন-ভাতায়।ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য চাই আরও টাকা। বাফুফের সহসভাপতি বাদল রায় সভায় উপস্থিত থেকে অনুশীলন খাতে অন্তত ১০-১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন। সেটি আদৌ পূরণ হবে কি না কে জানে।এবার বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও সেটিকে খুবই অপ্রতুল বলছেন বাদল রায়, ‘এনএসসির বাজেটে খেলার বরাদ্দ খুবই অল্প। এই যুগে খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে বাজেট করা উচিত, এনএসসি তার ধারেকাছেও নেই। তারা গতানুগতিকভাবেই চলছে। তাই আগামী বাজেটের আগে যেন ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে কথা বলে। নইলে এ ধরনের বাজেট ক্রীড়া উন্নয়নে কোনো ভূমিকাই রাখবে না।’এনএসসির কোষাধ্যক্ষ মনজুর হাসান (মিন্টু) এ নিয়ে তাঁর ১২তম বাজেট দিলেন। কিন্তু প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ এত কম কেন জানতে চাইলে বললেন, ‘বরাদ্দ তো বেড়েছে। সরকার আসলে স্পনসর থেকে টাকা নিয়ে ফেডারেশনগুলোকে চলতে উৎসাহ দিচ্ছে।’প্রশিক্ষণের জন্য স্পনসর জোগাড় করা কঠিন। অথচ এনএসসির তহবিলে প্রশিক্ষণ বাবদ বরাদ্দ বেঁচে যাচ্ছে!ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দত্তখণ্ড বিল এলাকা থেকে গতকাল বুধবার ভোরে হত্যা, ডাকাতিসহ সাতটি মামলার আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নবাবগঞ্জ থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার পাতিলঝাঁপ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় জনতার পিটুনিতে নিহত হন ডাকাতসর্দার দেলুয়ার হোসেন। এই বাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি ছিলেন জাহাঙ্গীর।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বৃহস্পতিবারের স্থগিত করা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার ছয়টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার হবে।এদিকে কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আবার পেছানো হয়েছে। নতুন সময়সূচি পরে জানাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৮-দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের কারণে জেলার বাইরের পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সূত্রে জানা গেছে।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়। ওই দিন বেলা একটায় ‘গ’ ইউনিট এবং বিকেল চারটায় ‘ক’ ও ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে।বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুনুর রশীদ খান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। অবরোধের কারণে এ পরীক্ষাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়েছে।এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে ১৬ নভেম্বর এবং পরে ২২ নভেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১৮-দলীয় জোটের টানা হরতালের কারণে স্থগিত করা হয়। এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়।উপাচার্য আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি চিন্তা করে এবং অবরোধের কারণে ভর্তি পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি পরে জানানো হবে।’বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল সকাল থেকে দুই দিনব্যাপী ছয়টি ইউনিটের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৮-দলীয় জোট তাদের অবরোধ কর্মসূচি বাড়ানোয় দুই দিনের সব পরীক্ষা আজ শনিবার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম জানান, শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিট, ১০টা থেকে ১১টা ‘ডি’ ইউনিট, সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা ‘বি’ ইউনিট, একটা থেকে দুইটা ‘ই’ ইউনিট, আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা ‘সি’ ইউনিট এবং চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ‘এফ’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে।তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময়সূচির বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।রাজধানীর সঙ্গে আবার ঈশ্বরদীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গত শনিবার থেকে কোনো পরিবহনের বাস ও ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে ঢাকায় যায়নি। ২৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের ঢাকা অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই ঈশ্বরদী থেকে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্তনগর বাস চলাচলও বন্ধ হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে।তবে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে প্রতি শনি ও সোমবার—দুই দিন বেসরকারি সংস্থার একটি করে ফ্লাইট ঢাকা যাচ্ছে, আসছে একটি ফ্লাইট। বাস-ট্রেন বন্ধ থাকায় বিমানে যাত্রীর চাপ বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।যোগাযোগব্যবস্থায় গতকাল সোমবার আরও স্থবিরতার সৃষ্টি হয়। ঈশ্বরদী টার্মিনাল থেকে আন্তজেলার বাসগুলোও ছাড়েনি। অন্য কোনো জেলা থেকে বাসও আসেনি।পাবনা এক্সপ্রেসের কাউন্টার ব্যবস্থাপক শাহাবুদ্দিন জানান, শনিবার রাত থেকেই তাঁদের ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ বাস চলবে, তা তিনি নিশ্চিত বলতে পারেননি। যাঁরা আগাম টিকিট নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে টাকা ফেরত নিয়ে গেছেন। কাউন্টার খোলা থাকলেও তাঁরা কোনো টিকিট বিক্রি করছেন না।পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) পঙ্কজ কুমার সাহা গতকাল জানান, যাত্রী নিরাপত্তার জন্য ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অন্য এলাকার ট্রেনগুলো চলছে।পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রয়োজনীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে পাবনা জেলা প্রশাসক ঈশ্বরদীর দুটি স্টেশনের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন।ঈশ্বরদী থেকে অন্য পথের ট্রেন চলাচলেরও নির্ধারিত সময়সূচি ব্যাহত হয়েছে। প্রতিটি ট্রেন ছয় থেকে দশ ঘণ্টা দেরিতে যাতায়াত করছে। এখন কেবল রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত মধুমতী এক্সপ্রেস এবং পার্বতীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পথের ট্রেনগুলো চলছে। বাস চলাচল বন্ধ, ট্রেনও সময়মতো যাচ্ছে না। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে।পাকশী বিভাগীয় রেল নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যায়, ঘন কুয়াশা ও নাশকতার আশঙ্কায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে আন্তজেলার ট্রেনগুলো চলত সর্বোচ্চ ৭২ কিলোমিটার গতিতে। এখন সর্বোচ্চ গতিবেগ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ কিলোমিটার। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করতে পারছে না। |
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় স্থাপিত তথ্যকেন্দ্রে রূপপুর প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকছে না। বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। তথ্যকেন্দ্রটি আগামীকাল মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হবে।সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের দোতলায় দুটি প্রশস্ত কক্ষে তথ্যকেন্দ্রের সব সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। সামনের কক্ষটিতে দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানানোর টেবিল, কম্পিউটার, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি রেপ্লিকা, যাঁরা সেখানে যাবেন তাঁদের শরীরের তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের একটি যন্ত্র প্রভৃতি বসানো হয়েছে।ভেতরের কক্ষটিতে রয়েছে দেয়ালজুড়ে একটি পর্দা। সেই পর্দায় প্রজেক্টরের সাহায্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে যাবতীয় সাধারণ তথ্যসংবলিত প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে। কক্ষে বড় পর্দার সামনে ছয়টি টেবিলে একসঙ্গে ৩৬ জন দর্শনার্থী বসে প্রতিটি টেবিলে স্থাপিত বাটন টিপে কম্পিউটারে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করে জবাব পাবেন। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপযোগী একটি কেন্দ্র হতে পারে।তবে বড় পর্দায় দেখানো প্রামাণ্য বা তথ্যচিত্রে কিংবা টেবিলে বসে কম্পিউটারে যেসব বিষয় জানা যাবে, তার মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকবে না। কিন্তু দেশের সব পর্যায়ের মানুষের আগ্রহ থাকবে রূপপুর সম্পর্কে জানার জন্যই।রাশিয়া যেসব দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে, সেসব দেশে ‘নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রি ইনফরমেশন সেন্টার’ (এনআইআইসি) নামে এ ধরনের তথ্যকেন্দ্র করা হয়। রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য দরকারি সমীক্ষাগুলো আনুষ্ঠানিভাবে শুরু করার এক দিন আগে ঢাকাতে তথ্যকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হচ্ছে। রূপপুরেও এ ধরনের একটি তথ্যকেন্দ্র করার কথা আছে।তথ্যকেন্দ্রের পরিচালক (একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক) আরশাদ হোসেন কেন্দ্রটি ঘুরিয়ে দেখানোর সময় জানান, উদ্বোধনের আগে শেষ মুহূর্তের কাজগুলো করা হচ্ছে। কেন্দ্রটির দর্শনার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি সময়সূচি করা হবে। তথ্যকেন্দ্রটিতে যেসব আয়োজন রাখা হয়েছে তা দেখতে একেকটি দর্শনার্থী দলের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগবে। দর্শনার্থীদের কোনো টিকিট বা টাকাপয়সা লাগবে না।পরিচালক বলেন, তথ্যকেন্দ্রটি থেকে জনসাধারণ ও গণমাধ্যমকর্মীদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংক্রান্ত বহুবিধ তথ্য সরবরাহ করা হবে। বিভিন্ন মডেল ও ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ সবাই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামগ্রিক কার্যক্রম ও এর নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের পার্বতীপুর-ঠাকুরগাঁও ও পার্বতীপুর-লালমনিরহাট রেলপথে ডেমু ট্রেনের চলাচল আবার শুরু হচ্ছে। চীনের প্রকৌশলীদের আসতে দেরি হওয়ায় দেশীয় প্রকৌশলীরাই চেষ্টা চালিয়ে ডেমু ট্রেনটি মেরামত করতে সক্ষম হয়েছেন।২৫ অক্টোবর বিকেলে এ দুটি রেলপথে চলাচলকারী ডেমু ট্রেন দুটির চারটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। গত বুধবার পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা ও ডিজেল লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপের প্রকৌশলীরা দিন-রাত চেষ্টার পর বিকল হয়ে যাওয়া ১৩ নম্বর ডেমু ট্রেনের দুটি ইঞ্জিন চালু করতে সক্ষম হন। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে আবার ডেমু ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চীন থেকে বহুল আলোচিত ২০ সেট ডেমু (ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট) ট্রেন আমদানি করা হয়। এর মধ্যে দুই সেট ডেমু ট্রেন গত ২৭ আগস্ট পার্বতীপুর থেকে ঠাকুরগাঁও রেলপথে কমিউটার-১ ও পার্বতীপুর-লালমনিরহাট রেলপথে কমিউটার-২ নামে চলাচল শুরু করে।লালমনিরহাটের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক এস এম মুরাদ বলেন, ডেমু ট্রেনের বিশেষায়িত ইঞ্জিনগুলো দেশীয় প্রকৌশলীদের দ্বারা মেরামত করা সম্ভব না হওয়ায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীদের দিয়ে সেগুলো মেরামতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডেমু ক্রয় চুক্তির শর্ত হিসেবে ক্রয়-পরবর্তী দুই বছর পর্যন্ত চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাংশান রেলওয়ে ভেহিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের প্রকৌশলীরা যাবতীয় সার্ভিসিং সুবিধা প্রদান করবে।পার্বতীপুর ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানার ব্যবস্থাপক (কর্ম) জয়দুল ইসলাম জানান, চীনা প্রতিষ্ঠানের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা আসতে দেরি করায় গত মঙ্গল ও বুধবার কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহীর তত্ত্বাবধানে কারখানার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী নাসিম রেজওয়ান ও পার্বতীপুর ডিজেল শেডের ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ গোস্বামী বিকল হওয়া ১৩ নম্বর ডেমু ট্রেনটির ইঞ্জিন মেরামতের চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে তাঁরা ইঞ্জিনটির কম্প্রেসারের মূল ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্যাক্ট পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি চিহ্নিত করেন। পরে ১৪ নম্বর ডেমু ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ইলেকট্রিক্যাল কন্ট্যাক্ট খুলে এনে ১৩ নম্বরের ট্রেনের ইঞ্জিনে লাগিয়ে সেটি চালু করেন।কমল কৃষ্ণ গোস্বামী জানান, ১৪ নম্বর ডেমু ট্রেনটিরও ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে। আগামী শুক্রবার তিন সদস্যের চীনা বিশেষজ্ঞ দল পার্বতীপুর আসছে। এর মধ্যে ট্রেনটির ইঞ্জিন চালু করা সম্ভব না হলে চীনা বিশেষজ্ঞরা সেটি মেরামত করবে।সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তিনি নিজ দলের প্রার্থীদের বলেছেন, ‘মনোনয়নপত্র দাখিল করে আমার নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবে। যদি মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তোমরা নির্বাচনে যাবে।’গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি মিলনায়তনে দশম সংসদ নির্বাচনে জাপার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এরশাদ এই নির্দেশ দেন।এরশাদ এর আগে সভা-সমাবেশে বক্তৃতায় নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছিলেন। সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলে, তাতে তিনি যাবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর আকস্মিক ভোল পাল্টিয়ে এরশাদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এখন তিনি বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই।গতকাল এরশাদ বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আমরা নির্বাচনের জন্য এক শ ভাগ প্রস্তুত আছি। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। মানুষ মারা, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করুন। আমি আমার প্রার্থীদের বোমা হামলার মুখে ঠেলে দিতে পারি না। তাঁরা আমার সন্তান।’সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্ত, কোথাও উঠে গেছে কার্পেটিং। ফুটপাতও নেই। মানুষ হাঁটছে সড়ক ধরে। সরু সড়কের গর্ত মাড়িয়ে গাড়ি চলছে হেলেদুলে। কনটেইনারবাহী গাড়ি বা কাভার্ড ভ্যান চলাচলের সময় বিপরীত থেকে আসা গাড়িকে থেমে যেতে হয়। গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেল, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়কের এমন চিত্র। সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে নিজ বাড়ি রাউজানে ফিরছিলেন প্রবাসী ইমরান সিকদার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই গাড়িতে বসে থাকা যাচ্ছিল না। কখনো ওপরের দিকে, কখনো অন্য পাশে হেলে পড়ছিল। নগরের অন্যতম পর্যটন স্থান ১৫ নম্বর জেটি এলাকায় যেতে হলে এই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। নিয়মিত বিমানযাত্রী ও তাঁদের স্বজনেরা এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করেন। করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১০ সালে প্রায় সোয়া সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কের আট হাজার ফুট দীর্ঘ চার লেনে সমপ্রসারণ ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয় করপোরেশন। প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, ২০১২ সালের জুন মাসের প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রমই শুরু হয়নি। সড়কের মাঝে মাঝে বিটুমিন দিয়ে খানাখন্দক ও গর্ত ভরাট করেই দায় সারে করপোরেশন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা-চালক মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘তারা (করপোরেশন) ভালোভাবে সংস্কার করে না। কয়েক দিন আগেই গর্তগুলো ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে বিটুমিন ও ইটের খোয়া উঠে আগের অবস্থায় ফিরে গেছে গর্তগুলো।’ করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এয়াকুব নবী প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘অর্থ বরাদ্দের জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি একনেক অনুমোদন দিলেও অর্থ ছাড় করেনি। তাই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৫ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করতে হবে। তহবিল সংকটের কারণে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, একনেক গত ২৯ অক্টোবর প্রায় ১০ কোটি টাকার সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করে। সড়কের মোট অংশকে ১২টি ভাগে ভাগ করে ১২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।এদিকে, সড়কের বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে শাহীনের ঘাট, লালদিয়ার চরসহ সড়কের বিভিন্ন অংশে প্রায় সময় অন্ধকার থাকে। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলেও ওই সব এলাকায় বাতি জ্বলে না। এ প্রসঙ্গে করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক বলেন, ‘সড়কের বিভিন্ন স্পটে ছিঁচকে চোরেরা অনেক সময় তার কেটে নিয়ে যায়। ফলে বাতি জ্বলে না। এ নিয়ে আমরা অসুবিধায় আছি। তবে খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার করা হয়।’ |