Title
stringlengths
2
110
Category
stringclasses
144 values
Time
stringlengths
17
26
Content
stringlengths
0
110k
Tags
stringclasses
675 values
নীলফামারীতে জামায়াত-শিবিরের ৩৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:০৯
নীলফামারীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের ৩৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।জেলার ডোমার উপজেলা থেকে ৭ জন, ডিমলা থেকে ১৪ জন, নীলফামারী সদর থেকে ৪ জন, জলঢাকা থেকে ৬ জন,  কিশোরগঞ্জ থেকে ৫ জন এবং সৈয়দপুর উপজেলা থেকে ১ জন জামায়াতকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন জানান, দেশব্যাপী চলমান পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।/আরএ/এমএনএইচ/
বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের ৫৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার
দেশ
১৭ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:১৫
দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপি এবং জামায়াতের ৫৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১৫, নিলফামারীতে ৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০, গাইবান্ধায় ২৯ এবং যশোরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বিভিন্ন মামলায় আরও ৪০ জনকে গ্রেফতার করে।কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার মনোহরগঞ্জ থেকে ১১, চৌদ্দগ্রাম থেকে ২ ও বুড়িচং থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।কুমিল্লা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান,  সোমবার রাতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১০ জামায়াত-শিবির এবং পাঁচজন বিএনপি কর্মী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নাশকতার অভিযোগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিমলা ফাজিল মাদ্রাসার নিজ কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক পোস্টার সাটানোর সময় আজ বুধবার ভোরে জেলা শহরের ডিসির মোড় থেকে টহল পুলিশ দুই শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন, সদরের খোকসাবাড়ি ইউনিয়নের সিঙ্গিমারী গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (১৮) এবং রামনগর ইউনিয়নের চড়চড়াবাড়ি গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২০)।নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  জানান, নাশকতা এড়াতে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধির পাঠানো খবরে জানা যায়, পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোহরাব আলীসহ জামায়াত-বিএনপি’র ১০ নেতাকর্মীসহ ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার বশির আহম্মদ জানান, নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার আসামি এবং অপরাধীদের ধরতে পুলিশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতের তিন, বিএনপির সাত এবং অন্যান্য মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে।এছাড়া গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ২৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।  গাইবান্ধা প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জেলার সাত থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, নাশকতার মামলায় সুন্দরগঞ্জ, গাইাবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ১৪ ও জামায়াত-শিবিরের ১৫ জনসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং অন্যান্য মামলায় আরও ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।যশোর প্রতিনিধি জানান, নাশকতার আশঙ্কায় যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধুকে আটক করেছে পুলিশ।  রাত সাড়ে ১২টার দিকে শার্শার কামার বাড়িমোড়স্থ নিজ বাড়ি থেকে যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে।শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম খায়রুজ্জামান মধুকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।খায়রুজ্জামান মধুর ছেলে শরিফুজ্জামান পরাগ জানান, গভীর রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন সাদা পোশাকের ব্যক্তি বাড়িতে এসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যান। এসময় আটকের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায় নাশকতার আশঙ্কায় তাকে আটক করা হচ্ছে।/আরএ/এসএস/
ফেনীতে একরাম হত্যা মামলার বিচার শুরু
দেশ
১৭ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:৫১
ফেনীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী জেলা দায়রা জজ আদালতে শুরু হয়েছে। ফেনীর জেলা দায়রা জজ দেওয়ান মো. সফিউল্যাহ আদালত অভিযোগ পত্র আমলে নিয়ে বিচার কাজ শুরুর আদেশ দেন। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌশলি (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত এই মামলার পরবর্তী তারিখ এখনও নির্ধারণ করেননি। তিনি নির্ধারিত তারিখে মামলাটির চার্জ গঠন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।এর আগে এই মামলার ৩৭ আসামিকে ফেনী কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা হয়। ফেনী কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আরিফ ইকবাল জানান, একরাম হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪৩ আসামিকে মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফেনী কারাগার থেকে ৩৭ আসামি ও জামিনে থাকা ৫ আসামিসহ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অধীনে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনার আদালতে হাজির হয়েছেন ।এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান খান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি  স্থানান্তরের জন্য আদেশ দেন।উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে। হত্যার পর নিহতের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার একশ’ দিন পর গত বছরের ২৮ আগস্ট ৫৬ জনকে আসামি করে পুলিশ আদালতে অভিযোগ পত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।আদালত আড়াই মাস পর গত বছরের ১২ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। এ মামলায় পুলিশ ও র‌্যাব ৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ১৬ জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।/জেবি/টিএন/
কসবায় ডাকাত-পুলিশ বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১
দেশ
১৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:৪৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ডাকাত ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে সাকিব উদ্দিন নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার দিনগত রাত প্রায় ২টার দিকে  উপজেলার খাড়েরা গোলাসার এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে ।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দুটি ছুরি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি মুখোশ উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন ।ওসি  মহিউদ্দিন জানান, কসবা থানা পুলিশের একটি টহল দল বহনকারী মাইক্রোবাসটি গোলাসারি এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে হামলা চালায় কয়েকজন ডাকাত। এ সময় পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটলে আহত হন কসবা থানার এএসআই মো. ফারুক মিয়া এবং কনস্টেবল আশিকুল ইসলাম। এ সময়পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ সাকিব উদ্দিন নামের এক ডাকাতকে  গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উদ্দিনের  বাড়ি কসবা উপজেলার মরাপুকুরপাড় গ্রামে।আহত দুই পুলিশ সদস্যকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।/এআই/এফএস/
কুনিও হত্যা মামলা: বিপ্লব ও হিরার জামিন আবারও নামঞ্জুর
দেশ
১৬ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:২৮
রংপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জাপানি ওসি কুনিও হত্যা মামলার দুই আসামি রংপুর মহানগর বিএনপি নেতা রাশেদুন্নবী খান বিপ্লব ও  কুনিওর ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ুন কবীর হিরার জামিনের আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সফিউল আলম শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর ধার্য করেন।একই সঙ্গে বিএনপি নেতা বিপ্লবের উন্নত চিকিৎসার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট তুহিন এ তথ্য জানান।অন্যদিকে, চাপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ৩ ছাত্রদল ও যুবদল নেতা মেরিল সুমন, কালা ফারুখ ও ভরসা কাজলকে আগামী ১৮ নভেম্বর বুধবার রংপুর জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।এর আগে রবিবার মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম ওই ৩ আসামিকে কুনিও হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।/আরএ/এমআর/
নিখোঁজের তিনদিন পর জাসাস নেতার লাশ উদ্ধার
দেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:১৮
ফেনীতে নিখোঁজের তিনদিন পর জাসাস নেতার আমির হোসেনের (২৯) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত আমির হোসেন মোটবী ইউনিয়ন জাসাসের যুগ্ম-সম্পাদক। তিনি ওই এলাকার মৃত আবদুর রবের ছেলে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে বাড়ী থেকে লস্করহাটে নিজ মালিকাধীন ‘শিল্পী ইলেকট্রনিকস’ যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন।  বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী মর্জিনা আক্তার সোনিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।আজ  বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।মোটবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ খালেক জানান, নিহত আমির হোসেন ইউনিয়ন জাসাসের যুগ্ম-সম্পাদক ও যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক মাহবুব মোরশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,তার মৃতদেহ উদ্বার করে ময়নাতন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।/এসএস/
ফেনীতে জামায়াত-শিবিরের ১৭ কর্মী আটক
দেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:৩৪
ফেনীতে নাশকতার আশঙ্কায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পুলিশ জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের রায় বহাল রাখার প্রতিবাদে দলটির ডাকা হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় তাদের আটক করা হয়। শহরের জামায়াত অধ্যুষিত পাঠানবাড়ি ও বারাহীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওমর ফারুক মহসিন (২০), শাখাওয়াত হোসেন (২১), শরীফুল ইসলাম (১৮) ও মনির হোসেনসহ (২২) ১৫ জামায়াত-শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়।ফেনীর মডেল থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবিরের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।/জেবি/ এএইচ/
ফেনীতে জামায়াত-শিবিরের ১৭ কর্মী আটক
দেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:৩৪
ফেনীতে নাশকতার আশঙ্কায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।পুলিশ জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের রায় বহাল রাখার প্রতিবাদে দলটির ডাকা হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় তাদের আটক করা হয়। শহরের জামায়াত অধ্যুষিত পাঠানবাড়ি ও বারাহীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওমর ফারুক মহসিন (২০), শাখাওয়াত হোসেন (২১), শরীফুল ইসলাম (১৮) ও মনির হোসেনসহ (২২) ১৫ জামায়াত-শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়।ফেনীর মডেল থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবিরের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।/জেবি/ এএইচ/
খাগড়াছড়িতে অস্ত্র, গুলি ও টাকাসহ ৫ ইউপিডিএফ নেতা আটক
দেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৫, ২০:৫৩
খাগড়াছড়ি শহরের খবংপুড়িয়া এলাকা থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগে ইউপিডিএফের ৫ নেতাকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি এলজি ও আট রাউন্ড গুলিসহ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।আটককৃতরা হলেন, ইউপিডিএফের জিকো ত্রিপুরা (৩৬), প্রতীন চাকমা (৪০) স্বপন চাকমা (৩০) রঞ্জু চাকমা (৩০) এবং নিকাত চাকমা (১৯)।পুলিশ ও সেনা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি শহরের খবংপুড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর তাদের সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের রাত আটটার দিকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সদর থানার ওসি ।এদিকে জেলা ইউপিডিএফের প্রচার সম্পাদক নিরন চাকমা তাদের পাঁচ নেতা আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সেনাবাহিনী তাদের নিরাপরাধ ৫ নেতাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্র, গুলি ও টাকা গুজে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করছে। তিনি অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।/জেবি/ এএইচ/
কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু
দেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:১৪
রাঙামাটি রাজবন বিহারে দুইদিনব্যাপী ৪২তম কঠিন চীবর দান উৎসব বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। এটি পার্বত্যাঞ্চলে বৌদ্ধদের বৃহত্তম উৎসব। এতে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীসহ প্রায় লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটবে বলে আশা করছে আয়োজক কমিটি।উৎসব উপলক্ষে বেলা তিনটায় বেইন কর্মীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্যে দিয়ে বেইনঘর উদ্বোধন করেন চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও রানী ইয়ান ইয়ান। পরে চরকায় সুতা কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।এ বছর রাজবন বিহারে ১৩০টি বেইনে অন্তত ৫২০ জন নারী কর্মী অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া সুতা লাগানো,সিদ্ধ, রং, টিয়ানো, শুকানো, তুম করা, নলী করা, বেইন টানার কাজে আরও শতাধিক পুরুষ কর্মী অংশগ্রহণ করছেন। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চীবর সেলাই চলবে।শুক্রবার সকাল ছয়টায় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হবে। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে দেব-মানবের তথা সব প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা। ধর্মদেশনায় উপস্থিত থাকবেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।চরকায় সুতা কাটার পর রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, ‘বিশাখা প্রবর্তিত এই চীবর অনুষ্ঠান বর্তমানে সার্বজনীন রূপ গ্রহণ করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে এরপর চীবর তৈরি করা হয়। এতে নারী-পুরুষ সকলেই অংশগ্রহণ করেন।’এসময় রাজবন বিহারের উপাসক/উপাসিকা পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সহ-সভাপতি নিরূপা দেওয়ান ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।চীবর তৈরির পর শুক্রবার দুপুর একটায় শোভাযাত্রা নিয়ে কঠিন চীবর ও কল্পতরু মঞ্চে যাওয়া হবে। পঞ্চশীল গ্রহণের পর দুপুর আড়াইটায় বনভান্তের মানব প্রতিকৃতির উদ্দেশ্যে কঠিন চীবর উৎসর্গ হবে। এসময় বনভান্তের প্রতিনিধি হিসেবে এ চীবর গ্রহণ করবেন আবাসিক প্রতিনিধি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে রাঙামাটি রাজবন বিহারে প্রতিবছর এ দানোৎসবের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালনের প্রস্তুতি শেষ করেছে রাজবন বিহার উপাসক- উপাসিকা পরিষদ।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হয়েছে।এদিকে উৎসব উপলক্ষে রাজবন বিহার এলাকায় বিশাল মেলা বসেছে। মেলা প্রাঙ্গণে সহস্রাধিক স্টলে সারাদেশ থেকে কুটির ও হস্তশিল্পের পণ্যের পসরা নিয়ে সাজানো নিয়েছে। এছাড়া নাগরদোলাসহ বিভিন্ন খেলা, যাদু প্রদর্শনী, ধর্মীয় পালা কীর্তনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।/জেবি/এসএস/
আসাদুজ্জামান ‍নূরের গাড়ি বহরে হামলা: ৬২ বিএনপি নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ
দেশ
১৭ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:৪৭
সদর আসনের সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ী বহরে হামলা ও পাঁচ ব্যক্তি হত্যার মামলায় আজ  ৬২ বিএনপি নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পলাতক আসামিরা আজ বুধবার দুপুরে নীলফামারীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতাহারা আখতার ভুঁইয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবির মাধ্যমে  জামিন চান। আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠায়।গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশরাফ আলী, লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব, টুপামারী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান রয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবি মিজানুর রহমান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।নীলফামারী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বিএনপি দলীয় ৬২ জনের  অনেকেই  বৃদ্ধ। এদের মধ্যে ১৫৯ ও ১৬৬ নম্বর আসামি সিদ্দিক মোল্লা (৯০), আজিজ পাইকার (৮০)পঙ্গু।নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরের সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহরে হামলা চালায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় কৃষক লীগ নেতা খুরশেদ আলম, যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হোসেন আওয়ামী লীগ কর্মী লেবু মিয়া ও পথচারী সিদ্দিক গাজীসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় ২১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়।আদালতের ২৭৬/১৩ জিআর মামলায় পুলিশ কর্তৃক ৬০ জামায়াত শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৫৯ জন আদালতের মাধ্যমে আত্মসর্মপণ করেন।আরও  ৯৮ আসামির মধ্যে আজ বুধবার ৬২ বিএনপি নেতাকর্মী আদালতে আত্মসর্মপণ করায় আদালত তাদের  জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।সূত্র মতে, এই মামলায় এখনও চার্জশিটভুক্ত ৩৬ আসামি পলাতক রয়েছেন।/এসএস/
বান্দরবানে পুলিশ-সন্ত্রাসী ‘বন্দুকযুদ্ধ’, আটক ২
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ১০:৪৭
বান্দরবান জেলার চেমিডলুপাড়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ সন্ত্রাসীকে আটক করে। তারা হলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেন বুলু ও মো. রুবেল।পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোররাতে চেমিডলুপাড়া এলাকায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল, ৫০ পিস ইয়াবাসহ ইসমাইল হোসেন বুলু ও মো. রুবেলকে আটক করে। এসময় ডিবি পুলিশ সোহেল আহম্মেদ আহত হয়। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চেমিডলুপাড়া এলাকা থেকে  ইসমাইল হোসেন বুলু এক আদিবাসী তরুণীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।/এসটি/
বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াতের ৫৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার
দেশ
১৭ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:১৫
দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিএনপি এবং জামায়াতের ৫৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে কুমিল্লায় ১৫, নিলফামারীতে ৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০, গাইবান্ধায় ২৯ এবং যশোরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বিভিন্ন মামলায় আরও ৪০ জনকে গ্রেফতার করে।কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার মনোহরগঞ্জ থেকে ১১, চৌদ্দগ্রাম থেকে ২ ও বুড়িচং থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।কুমিল্লা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান,  সোমবার রাতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে ১০ জামায়াত-শিবির এবং পাঁচজন বিএনপি কর্মী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নাশকতার অভিযোগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিমলা ফাজিল মাদ্রাসার নিজ কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক পোস্টার সাটানোর সময় আজ বুধবার ভোরে জেলা শহরের ডিসির মোড় থেকে টহল পুলিশ দুই শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন, সদরের খোকসাবাড়ি ইউনিয়নের সিঙ্গিমারী গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (১৮) এবং রামনগর ইউনিয়নের চড়চড়াবাড়ি গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২০)।নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  জানান, নাশকতা এড়াতে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধির পাঠানো খবরে জানা যায়, পুলিশের বিশেষ অভিযানে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোহরাব আলীসহ জামায়াত-বিএনপি’র ১০ নেতাকর্মীসহ ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার বশির আহম্মদ জানান, নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার আসামি এবং অপরাধীদের ধরতে পুলিশ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতের তিন, বিএনপির সাত এবং অন্যান্য মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করে।এছাড়া গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ২৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।  গাইবান্ধা প্রতিনিধির পাঠানো খবরে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জেলার সাত থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, নাশকতার মামলায় সুন্দরগঞ্জ, গাইাবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ১৪ ও জামায়াত-শিবিরের ১৫ জনসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং অন্যান্য মামলায় আরও ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।যশোর প্রতিনিধি জানান, নাশকতার আশঙ্কায় যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধুকে আটক করেছে পুলিশ।  রাত সাড়ে ১২টার দিকে শার্শার কামার বাড়িমোড়স্থ নিজ বাড়ি থেকে যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে।শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম খায়রুজ্জামান মধুকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।খায়রুজ্জামান মধুর ছেলে শরিফুজ্জামান পরাগ জানান, গভীর রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন সাদা পোশাকের ব্যক্তি বাড়িতে এসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যান। এসময় আটকের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায় নাশকতার আশঙ্কায় তাকে আটক করা হচ্ছে।/আরএ/এসএস/
ঢাকায় অপহৃত ব্যবসায়ী ১২ দিন পর রামগঞ্জ থেকে উদ্ধার
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ১১:৪১
ঢাকার মিরপুর থেকে অপহরণের ১২ দিন পর এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. মুসলিম। বৃহস্পতিবার রাতে রামগঞ্জের ভোলাকোট ইউনিয়নের শাকতলা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে হারুন নামে এক যুবককে আটক করা হয়। তিনি স্থানীয় শাকতলা গ্রামের বাসিন্দা।হারুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণের মূল হোতা রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বেলাল আহমেদের ভাগিনা বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জুয়েলকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়,গত ৭ নভেম্বর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল ও হারুন ঢাকার মিরপুর থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে মুসলিমকে। এরপর রামগঞ্জে এনে তাকে আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন করা হয়। অপহরণকারীরা তার স্ত্রীর কাছে মোবাইল ফোনে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে ব্যবসায়ীর স্ত্রী স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়।পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার এবং একজনকে আটক করে।  মুসলিম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বিষামণ্ডল গ্রামের প্রয়াত ছফি উল্যার ছেলে।এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি তোতা মিয়া জানান, এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত জুয়েল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জুয়েলকে ধরতে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।/জেবি/এফএস/
নারী সহকর্মীর গুলিতে আহত পুলিশের এএসআই
দেশ
১৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:২৯
নীলফামারী জজ আদালতে দায়িত্ব পালনকালে কনস্টেবল তানজিনা আক্তারের গুলিতে গুরুতন আহত হয়েছেন এএসআই  আমিনুর রহমান (৪০)। বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল নয়টার দিকে জেলা জজ আদালতের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। নীলফামারী পুলিশ লাইনের রিজার্ভ অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।আহত এএসআইকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডান পায়ের হাঁটু থেকে ছয়টি গুলি বের করা হয়েছে। একটি বের করা সম্ভব হয়নি। সকাল ১১টায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।জানা যায়,  নীলফামারীর স্থানীয় পুলিশ লাইনের এএসআই আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে নারী-পুলিশসহ চার সদস্য জজ আদালতের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল তানজিনা আক্তারের হাতে থাকা শর্টগান থেকে অসর্তকতাবশত সাতটি গুলি বের হয়ে এএসআই  আমিনুরের পায়ে বিদ্ধ হয়।রিজার্ভ অফিসার জানান, দুর্ঘটনাবশত এমনটি ঘটেছে। কনস্টেবল তানজিয়াকে পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে।/এইচকে/এসএস/
লাখো মানুষের দুর্ভোগের নাম মহেশখালী জেটি
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:৪৮
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রায় চার লাখ মানুষের দুর্ভোগের নাম এখন মহেশখালী জেটি ঘাট। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় নৌ যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে কক্সবাজার সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। দীর্ঘ সময় ধরে অসংখ্য দুর্ঘটনা ও যাত্রীদের নানা অভিযোগের পরও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।প্রতি বছর এ জেটি থেকে ৩০/৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও জেটি সম্প্রসারণে কর্তৃপক্ষের মাথাব্যাথা নেই বলে অভিযোগ করেন ব্যবহারকারীরা।মহেশখালী জেটি ঘাটে নৌযান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত আবুল কালাম জানান, ভাটা শুরু হলেই নেমে আসে দুর্ভোগ। ভাটা শুরুর পর অল্প সময়ের জন্য ডিঙি নৌকা দিয়ে জেটিতে যাত্রী পারাপার করা যায়। ভাটা পূর্ণ জেটি থেকে অন্তত ২০০ গজ দূরে আটকে পড়ে সব ধরনের নৌযান। এসময় কোনও নৌযানই ঘাটে ভিড়তে পারে না। এমনকি বিকল্প বাহন ডিঙি নৌকাও চলাচল করতে পারছে না। প্রতিদিন প্রায় ৫ ঘণ্টা এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মহেশখালী জেটি নির্মাণ করা হয়। একই সঙ্গে জেটির পাশে আধা কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পলি জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় সংকুচিত হয়ে যায় ঘাট সংলগ্ন নৌপথ। চলাচলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ২০০০ সালে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে জেটিঘাটের ব্রিজটি ১০০ মিটার সম্প্রসারণ করা হয়।কিন্তু অব্যাহতভাবে নদী ভরাট হতে থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে বর্ধিত জেটিও সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে ভাটার সময় কোনও নৌযান জেটিতে ভিড়তে পারছে না।যাত্রীরা জানান, ভাটার সময় নিরুপায় হয়ে কোমর সমান কাদা আর হাঁটু সমান পানি ভেঙে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে পুরুষ যাত্রীরা কোনওভাবে চলাচল করতে পারলেও নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের চরম কষ্ট হচ্ছে। রোগীদের কষ্ট আরও বেশি।কক্সবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা মোহিবুল্লাহ জানান, ‘ঘাটের কারণে এখন সময় মেপে চলাচল করতে হচ্ছে। ভাটা হলেই আর রক্ষা নেই। গত পাঁচ বছর ধরে এই দুরাবস্থা চলে আসছে। এতে স্থানীয়দের পাশপাশি পর্যটকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জেটি ঘাটের সম্প্রসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ-রুটের নিয়মিত যাত্রী কলেজ প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে মহেশখালী এখন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। প্রায় সময় বিভিন্ন ভিআইপি মহেশখালীতে আসছেন। এতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে জেটি ঘাট। তাই মহেশখালী জেটির সম্প্রসারণ করা এখন সময়ের দাবি।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কামাল বলেন,‘জেটি সম্প্রাসরণ করার কোনও প্রকল্প আপাতত হাতে নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি।’কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন,‘মহেশখালী জেটি ঘাটের ভোগান্তি আমার জানা আছে। জেটিঘাট সম্প্রসারণ করে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথ নির্বিঘ্ন করার চেষ্টা করব।’/জেবি/এফএস/ এসএস/
আখাউড়ায় পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ১
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:৫৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইসমত আরা (৪৫) নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার এক'শ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এছাড়া তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়। শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া-কসবা সড়ক সংলগ্ন সীমান্তবর্তী মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক ইয়াবা ব্যবসায়ী ইসমত আরা আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানান,  ক্রেতা সেজে মোবাইল ফোনে ইয়াবার অর্ডার দিলে চার হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেন ইসমত আরা। এ সময় তাকে ইয়াবার ব্যাগসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মনিয়ন্দ গ্রামের বাড়ির শোকেজের ড্রয়ার থেকে আরও এক হাজার এক'শ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান আরও জানান, আখাউড়ার চিহ্নিত ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে।/এএ/
কক্সবাজারে পিকআপ ভ্যানে গাছ পড়ে ব্যবসায়ী নিহত
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:০৮
কক্সবাজারের চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের পাশে রাতের আঁধারে গাছ কাটার সময় একটি সবজি বোঝাই পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে ঘটনাস্থলেই এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। লামার হরিণঝিরি এলাকায় শুক্রবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যবসায়ী মো. সাগর (২৮) চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী এলাকার মাসুক আহমদের ছেলে। এ সময় পিকআপ চালকসহ অপর এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পিকআপ চালকের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহত ব্যবসায়ী মো সাগর ও একই এলাকার অপর ব্যবসায়ী ইউনুছ (৬০) লামা পৌরসভার শিলেরতুয়া এলাকা থেকে কাঁচা পেপে ক্রয় করে পিকআপ ভ্যানে (নং-চট্ট মেট্টো- ন-১১-৩৭৬৭) করে চকরিয়ার উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলে। রাত আটটায় হরিণঝিরি এলাকায় পিকআপ ভ্যানটি এসে পৌঁছলে সড়কের পাশের বিশালকারের একটি গাছ পেপে বোঝাই পিকআপ ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুছড়ে গিয়ে চালক ও দু’ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন।লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম পিকআপ ভ্যানের উপর গাছ চাপা পড়ে ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করেছে। নিহতের লাশ আত্মীয়-স্বজনকে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।/এএ/
ছাগল মারার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা
দেশ
১৮ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:৩২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ছাগল মেরে ফেলার অভিযোগ কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) শহিদুল ইসলাম।তিনি জানান, উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের ডাকাতপাড়া গ্রামের এক ভুট্টা ক্ষেতে একটি মৃত ছাগল পাওয়া যায়। ছাগলটির মালিক হুমায়ন কবির অভিযোগ করেন, মুনসুর তার ছাগল মেরে ফেলেছে।এ নিয়ে দুই পক্ষ মঙ্গলবার রাতে সালিশে বসে। এ সময় মুনসুর ও তার পক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করলে হুমায়নের ছেলে পারুল, জিয়ারুলসহ কয়েকজন তাদের উপর হামলা চালায়।গুরুত্বর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মুনসুর। এ সময় আহত হয় আতাউর, আনিসুর ও তোজাম্মেলসহ আরও তিনজন।এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।/এআই /এসএস/
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীর গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:৩২
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীর গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম রিয়াদ হোসেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় মেন্ডেলা সিটির আমতাতা এলাকায় একটি দোকানে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত রিয়াদ ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার গৌতমখালী গ্রামের রহিম আলীর বড় ছেলে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত নিহতের ভাই নজরুল ইসলাম বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। রিয়াদকে গুলি করে ওই দোকানের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।রিয়াদের চাচা ইয়াকুব আলী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২০১১ সালে সে দক্ষিণ আফ্রিকা যায় ।/এএ/এমএনএইচ/
বিলুপ্ত ছিটমহলের ২০১টি পরিবার ভারত যাচ্ছে
দেশ
১৮ নভেম্বর ২০১৫, ২২:৪৯
ভারতের নাগরিকত্ব বজায় রাখা সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলের ২০১টি পরিবারের ৯৮৫ জন সদস্য আগামী রবিবার ২২ নভেম্বর থেকে পাঁচ দফায় ভারত যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা যাবে যথাক্রমে ২২,২৩ ও ২৪ নভেম্বর। চতুর্থ দফা যাবে ২৬ নভেম্বর। এই চার দফায় যারা যেতে পারবে না; তাদেরকে পঞ্চম দফায় পাঠানো হবে।নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সূত্র জানায়, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি অভিবাসন সীমান্ত দিয়ে যাবে পঞ্চগড় জেলার ১১টি বিলুপ্ত ছিটমহলের ৯৯ পরিবারের ৪৭১ জন। বুড়িমারী-চ্যাংরা বান্ধা অভিবাসন দিয়ে লালমনিরহাটের ৭টি বিলুপ্ত ছিটমহলের ৪০ পরিবারের ১৯৭ জন ও বাঘভান্ডার-সাহেবগঞ্জ অভিবাসন দিয়ে কুড়িগ্রামের দুটি বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে ৬২ পরিবারের ৩১৭ জন সদস্য।ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে বাংলাদেশকে অবগত করেছে। এর আগে এই পরিবারগুলোর ভারত গমনের দিনক্ষণ প্রস্তুত করা হয়েছিল চার দফায়। কিন্তু ভারত কর্তৃপক্ষ পরে তা স্থগিত করেছিল। ফলে ওই সব পরিবারের ভারত গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।এসব ছিটমহলের অধিবাসীদের ভারত গমনের সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে একটি সংযুক্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, তাদের বর্তমান বাসস্থান থেকে চিলাহাটি সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে স্থানীয় প্রশাসন পরিবহনের ব্যবস্থা  নিয়েছে। এখান থেকে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রমের সময় ওপারের ভারতীয় প্রতিনিধিদের হাতে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, যারা ভারত গমন করছে তাদের বরণ করে নিতে হলদিবাড়ি সীমান্তে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিশাল আকারের সবুজ রংয়ের একটি প্যান্ডেল তৈরি করে রেখেছে। সেখানে বরণ অনুষ্ঠান করবেন তারা। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হবে স্থানীয়ভাবে বসবাসের জন্য তৈরি করা হলদিবাড়ি কৃষিখামার আবাসন প্রকল্পে। সেখানে প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে দুইশ’ স্কোয়ার ফিটের ঢেউটিন দিয়ে তৈরি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তির পর গত ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে দুই দেশের ভেতরে থাকা ১৬২টি ছিটমহল বিলুপ্ত হয়। ভারতের ছিটমহল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মিশে গিয়েছে আর বাংলাদেশের ছিটমহল ভারত ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। সেসময় বাংলাদেশে থাকা তিন জেলার ২০টি ভারতীয় ছিটমহলের ২০১টি পরিবারের ৯৮৫ জন সদস্য ভারতের নাগরিকত্ব বজায় রেখেছিল। তারাই স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভারত গমন করবে। এদের মধ্যে কুড়িগ্রামের ১৩টি পরিবারের ৫৫ জন্য সদস্য তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বসহ ভারত গমন বাতিল চেয়ে আবেদন করেছে।/আরএ/ এএইচ/
ফেনীতে শ্রমিক ও ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ক্লু সাতদিনেও উদ্ঘাটন হয়নি
দেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:২১
ফেনীতে এক নির্মাণ শ্রমিককে গুলি করে ও অপর এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনার সাত দিন পার হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। আলোচিত এই দুই হত্যাকাণ্ডের কোনও ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের পরিবার ও স্বজনরাসহ স্থানীয়রা চরম হতাশা ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৪ নভেম্বর শনিাবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের উত্তর দমদমা গ্রামের ফরাজি বাড়ির আবদুল ওহাবের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক আজিজুল হক (২৮) ঘর থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হন। এর পর তিনি আর ঘরে না ফেরেননি। পরের দিন রবিবার সকাল ৭টার দিকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ স্থানীয় হাফেজিয়া নূরানী মাদ্রাসার পেছন থেকে উদ্ধার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। পরে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।নিহতের মা আয়েশা জানান, আমার ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। তবু কারা কেন আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করল জানতে চাই। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করে আমার বুক খালি করল আমি তাদের বিচার চাই।নিহতের পিতা আবদুল ওহাব এই ঘটনায় গত রবিবার সকালে বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি বলেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এতে আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেন তিনি।  অন্যদিকে, ফেনী সদরের লস্করহাটের নিখোঁজ ব্যবসায়ী আমির হোসেনের (২৯) লাশ গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের নিজ বাড়ির পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত আবদুর রবের ছেলে।নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী মর্জিনা আক্তার সোনিয়া জানান, গত সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে লস্করহাটে নিজ শিল্পী ইলেকট্রনিক্সে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তিনি মঙ্গলবার ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর হতে তার স্বামীর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে পুলিশের কোনও ধরনের তৎপরতা তার চোখে পড়েনি। বরং পুলিশের ভূমিকায় রহস্যময় বলে তিনি দাবি করেন।মোটবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ খালেক জানান, নিহত আমির হোসেন ব্যবসার পাশাপাশি ইউনিয়ন জাসাসের যুগ্ম-সম্পাদক ও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। পুলিশ ইচ্ছা করলে খুব দ্রুতই ঘটনার ক্লু উদঘাটিত করতে পারে।  ফেনী মডেল থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের কথা জানিয়ে বলেন, হত্যার পেছনে সম্ভাব্য কারণ ও কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা অনুসন্ধানে ও জড়িতদের আটক করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছেন। খুব দ্রুতই হত্যাকাণ্ড দুটির ক্লু উদঘাটিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওসি।/আরএ/টিএন/
কুমিল্লায় আটক ৪ বিদেশি নাগরিক ২ দিনের রিমান্ডে
দেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:৪৮
কুমিল্লা সীমান্তে আটক চার বিদেশি নাগরিককে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার কুমিল্লার ১নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামছুজ্জামান জানান, পুলিশ তাদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী কেরানীনগর থেকে বিজিবি (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ) তাদের আটক করে। শুক্রবার তাদের কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়।তারা হলেন, ক্যামেরুনের নাগরিক এমমিরা জুপাং, কঙ্গোর থমাস ওকো, কিংডম অব লিসেথোর আবদু নাসারা ও রিপাবলিক ডি গিনির হামিদু সামারা। তাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ভারতের ভিসা লাগানো পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।/জেবি/টিএন/
চাঁদপুরে পৌর জামায়াতের আমির গ্রেফতার
দেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ২০:১৬
চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌরসভা জামায়াত আমির মাওলানা মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পৌর শহরের ঠাকুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শাহরাস্তি থানার ওসি মো. কামাল হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মো. মিজানুর রহমান উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউপির আনন্দপুর গ্রামের মৃত আ. করিমের পুত্র।ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, ২০১৩ সালের রেলওয়ের নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর বিকেল ৪টায় তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।এর আগে রেলওয়ে নাশকতা মামলায় শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াত আমির ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসাইনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।/আরএ/টিএন/
অস্ত্র মামলায় ৫ ইউপিডিএফ নেতা রিমান্ডে
দেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ২২:৪০
খাগড়াছড়ি শহরে চাঁদাবাজির সময় দুটি এলজি ও আট রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার ইউপিডিএফের ৫ নেতার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।রবিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং খাগড়াছড়ি সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাকিব হোসেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল নোমান তাদের পৃথক রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এরা হলেন,জিকো ত্রিপুরা, প্রতীন চাকমা, স্বপন চাকমা, রঞ্জু চাকমা এবং নিকাত চাকমা। এদের মধ্যে জিকো ত্রিপুরা ও প্রতীন চাকমার ২ দিনের এবং অন্যদের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।উল্লেখ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার বিকালে খাগড়াছড়ি শহরের খবংপুড়িয়া এলাকায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই সময় ইউপিডিএফের পাঁচজনকে দুটি এলজি, ৮ রাউন্ড গুলি ও চাঁদাবাজির ৮৯ হাজার টাকাসহ আটক করা হয়।/আরএ/এসএস/
দুই ব্যক্তির দ্বন্দ্বে পরীক্ষা দিতে পারছেন না লালমনিরহাটের ১৫ ডিগ্রি শিক্ষার্থী!
দেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৫, ১১:১৩
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিগ্রি পাস কোর্সের ১ম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষায় লালমনিরহাটের ১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছেন না।অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান,লালমনিরহাটের আদিতমারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আজিজার রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শামসুল ইসলাম সুরুজের ছেলে ফারুক ইমরুল কায়েসের দ্বন্দ্বের জেরে পরীক্ষায় বসতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৮-নভেম্বর) ওই ১৫ শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র নিতে কলেজে গিয়ে জানতে পারেন, তাদের ফরম পূরণ করা হয়নি বলে তারা প্রবেশপত্র পাননি।জানা যায়, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি পাস কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশ নিতে আদিতমারী ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৬২ জন পরীক্ষার্থী প্রায় চার মাস আগে ফরম পূরণ করেন। ফরম পূরণ করা হলেও তাদের কোনও রশিদ দেওয়া হয়নি।আরও জানা যায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শামসুল ইসলাম সুরুজের ছেলে ফারুক ইমরুল কায়েসের কাছে যান। ইমরুল কায়েসের চাচা শওকত আলী সরকার কলেজের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি। কায়েস প্রাতিষ্ঠানিক কোনও পদে না থাকলেও পারিবারিক কারণে কলেজের নির্বাহী কাজে যথেষ্ট প্রভাব রাখেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান কলেজ প্রশাসনের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, কায়েস কলেজের ৭০ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের ব্যবস্থা করেন। তবে অধ্যক্ষ আজিজার রহমান বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় উভয়ের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বলি হন ১৫ শিক্ষার্থী। তাদের বিষয়ে অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষা বোর্ড থেকে কোনও প্রবেশপত্র আসেনি।আদিতমারী ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ফারুক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘৭০ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার পরও কেন ১৫ শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আসলো না। বিষয়টি অধ্যক্ষই ভালো বলতে পারবে।’প্রবেশ পত্র না পাওয়া শিক্ষার্থীদের একজন পল্লব কুমারসহ অন্যরা বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ১৫ পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে একটি বছর অকারণে হারিয়ে যেতে পারে না। এই দায়-দায়িত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।’ডিগ্রি পাস কোর্স বিএসএস ১ম বর্ষের পরীক্ষার্থী লাইলী খাতুনের মা জেন্না খাতুন অভিযোগ করেন, ‘অনেক কষ্টে টাকা-পয়সা জোগাড় করে ফরম পূরণের টাকা দিয়েছি। কেন আমার মেয়ের প্রবেশপত্র আসেবে না?আদিতমারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আজিজার রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
সোনাদিয়া দ্বীপে নকিব বাহিনীর রামরাজত্ব
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:৪৪
জলদস্যুদের গড়ফাদার আবদুল গফুর নাগু মেম্বারের একমাত্র ছেলে নকিবের নেতৃত্বাধীন নকিব বাহিনী বঙ্গোপসাগরে রাজত্ব করছে। এই বাহিনীর নেতৃত্বে কক্সবাজার ও বাঁশখালীসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১০টি বাহিনীর শতাধিক দস্যু সাগরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এই বাহিনীর কারণে সাগর জেলেদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জেলেদের পক্ষ থেকে দস্যুতা প্রতিরোধের জন্য আবেদন জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন। এই বাহীনির শতাধিক দস্যুকে নিয়ন্ত্রণে সোনাদিয়ার সরোয়ার বতইল্যা, আনজু মিয়া, জাম্বু, মুনাফ, ঘটিভাঙার ফারুকসহ আরও কয়েকজন নকিবের সহযোগী হিসেবে রয়েছে বলে জানা যায়। তাদের গডফাদার হিসেবে কাজ করছে নকিবের বাবা আবদুল গফুর নাগু মেম্বার।জেলে সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে অব্যাহত ডাকাতির কারণে কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী সাগর উপকূলে মাছ ধরতে যাচ্ছে না কোনও বোট। কক্সবাজার জেলার সব বোট ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গোপসগারের সোনাদিয়া, নাজিরারটেক, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, উখিয়া ও টেকনাফ পয়েন্টে মাছ ধরছে। এ কারণে বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ার জলদস্যুরা সোনাদিয়ার নকিব বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে এক সঙ্গে ডাকাতি করছে।জেলেরা জানান, সোনাদিয়া চর এখন জলদস্যুদের অভয়ারণ্য। তারা সোনদিয়াকে প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। এসব দস্যু বাহিনীর হাতে আছে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র রয়েছে।কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতি সূত্র জানায়, ইলিশ প্রজনন মৌসুমের পর পরই সব দস্যুবাহিনী একজোট হয়ে সাগরে বোট ডাকাতি করছে। এ সময়ের মধ্যে অর্ধশতাধিক বোট এসব দস্যু বাহিনীর হাতে ডাকাতির শিকার হয়েছে। গুলি, হামলা ও অপহরণসহ বিভিন্ন হামলার শিকার হয়েছে শতাধিক জেলে। এখন পর্যন্ত ২টি বোটসহ ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।বোট মালিক সমিতির অভিযোগ, জেলেদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।কোস্টগার্ড কক্সবাজার স্টেশনের পিটি অফিসার নান্নু মিয়া জানান, ‘লোকবল সংকটের কারণে সোনাদিয়ায় কোস্টগার্ডের ঘাঁটি করা যাচ্ছে না। এরপরও সাগরে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। ’মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, সোনাদিয়া দ্বীপের নাগু মেম্বারের ছেলে নকিব একজন ভয়ংকর জলদস্যু। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত ছয় মাস ধরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও সম্ভাব্য স্থানে তাকে ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।/জেবি/এএ/
কুমিল্লায় নিখোঁজের ৫দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ২০:৩৬
কুমিল্লায় নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর জনার্দন কর্মকার (২৪) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাশে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সুজাতপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ত্রিনাথ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নিহত জনার্দন উপজেলার পাতড্ডা গ্রামের মনমোহন কর্মকারের ছেলে।পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে ওই এলাকার ব্রিজের নিচে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।নিহতের বাবা মনমোহন জানান, তার ছেলে গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে পার্শ্ববর্তী চিওড়া বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।/আরএ/এফএস/
ফেনীতে পিএসসিতে ঝরে গেলো সাড়ে ৯শ’ শিশু শিক্ষার্থী
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ১০:৫১
ফেনীতে  প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী (পিএসসি) সমাপনী পরীক্ষায়  ঝরে পড়লো সাড়ে ৯শ’ শিশু শিক্ষার্থী।আর্থিক, শারীরিক ও পারিবারিক অনীহাসহ নানা  কারণে গত রবিবার শুরু হওয়া পিএসসি পরীক্ষায় এরা অংশ নিতে পারেনি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিলকিস আরা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ফেনী সদরসহ জেলার ৬ উপজেলায় গতকাল রবিবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৩৫ হাজার ৪শ’ ৫৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে সাড়ে নয় শ’ পরীক্ষাথী অংশ নেয়নি ।সূত্র মতে, ফেনী সদর উপজেলার ২২ কেন্দ্রে ৩শ’ ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১শ’ ৪৩ জন ছাত্র ও ৯৫ জন ছাত্রী এবং একই উপজেলার ১৫ কেন্দ্রে ২৯টি মাদ্রাসার ৮৭ জন ছাত্র ও ৩০ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল।এছাড়াও দাগনভূঞা উপজেলার ৯ কেন্দ্রে ১শ’ ৬০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৭ জন ছাত্র ও ৩১ জন ছাত্রী এবং একই  উপজেলায়  অপর ৯ কেন্দ্রে ২৭টি মাদ্রাসার ৫৫ জন ছাত্র  ও ৪১ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল।অন্যদিকে, সোনাগাজী উপজেলার ১১ কেন্দ্রে ১শ ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৭ জন ছাত্র ও ৫৩ জন ছাত্রী ও একই উপজেলার ১১ কেন্দ্রে ২৩টি মাদ্রাসার ৪৬ জন ছাত্র ও ১৮ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল।জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ৮ কেন্দ্রে ১শ’১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ জন ছাত্র ও ১৮ জন ছাত্রী ও একই  উপজেলার ৮ কেন্দ্রে ২৩টি মাদ্রাসার ৫৬ জন ছাত্র ও ২৫ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল।পরশুরাম উপজেলার ৫ কেন্দ্রে ৬৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ জন ছাত্র ও ১৫ ছাত্রী এবং ৪ কেন্দ্রে ১৩টি মাদ্রাসার ৩৪ জন ছাত্রী ও ১১ জন ছাত্রী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।আর ফুলগাজী উপজেলার ৬ কেন্দ্রে ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন ছাত্র ও ১৪ জন ছাত্রী এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষায় একই উপজেলায়  ৬ কেন্দ্রে ১৩টি মাদ্রাসার ২১ জন ছাত্র ও ১৫ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল।/টিএন/
সোনাগাজীতে বিএনপি সমর্থক দু'ইউপি চেয়ারম্যান জামিনে মুক্ত
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ১৩:৪১
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন খোকন  এবং চরদরবেশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছেন ।মঙ্গলবার সকাল দশটায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন ।তারা যথাক্রমে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ও একাধিকবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।মুক্তিপ্রাপ্ত দু’চেয়ারম্যান মুঠোফোনে জানান, পৃথক দুটি মামলায় তারা গত ৮ সেপ্টেম্বর ফেনীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নিম্ন আদালতে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও না পাওয়ায়  হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট তাদের জামিন মঞ্জুর করে ।/টিএন/
কুমিল্লায় বাস উল্টে সুপারভাইজার নিহত
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:৫২
কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুপারভাইজার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাইতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশিমূল গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আজাদুর রহমান (৪৫)।ময়নামতি হাইওয়ে থানার এসআই  আলী আশরাফ জানান,ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে সুপারভাইজার নিহত ও ১৫ জন যাত্রী আহত হয়।/এএ/
কক্সবাজার পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল বহিষ্কার
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ২১:০৯
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামালকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বহিষ্কার করা হয়।কক্সবাজারের একটি আদালতে ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পৌর প্যানেল মেয়র-১ মো. জিসান উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের মুক্তির দাবিতে কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল ‘আল্লামা সাঈদী মুক্তি পরিষদ’। ওই মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় তিন জনের মৃত্যু হয় এবং অন্তত ২০০ জন আহত হন।  ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা তিন মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পৌর মেয়র সরওয়ার কামালকেও আসামি করা হয়। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ অন্যদের সঙ্গে মেয়র সরওয়ার কামালকেও অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করে। গত ১২ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এই মামলায় চার্জ গঠন করেন।/এএ/এফএস/
পারিবারিক কলহে গৃহবধূ খুন
দেশ
১৯ নভেম্বর ২০১৫, ২০:০২
গাইবান্ধা শহরের ডেভিডকোম্পানি পাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মারপিটে রোশনা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করে।আহত গৃহবধূ রোশা বেগম গত বুধবার রাতে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান।  নিহত গৃহবধূ ওই পাড়ার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।আটককৃতরা হলেন, ওই পাড়ার সেলিম মিয়ার স্ত্রী পারুল বেগম ও তার ছেলে ফারুক মিয়া ।গাইবান্ধা সদর থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান নিহতের পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে রোশনা বেগমের সাথে তার ছোট ভাইয়ের বউ পারুল বেগমের সঙ্গ কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পারুল বেগম ও তার ছেলে ফারুক মিলে রোশনা বেগমকে মারধর করেন। প্রতিবেশীরা রোশনাকে উদ্ধার করে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে।এঘটনায় স্বামী আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।/এসএস/
নীলফামারীতে ভাবি হত্যার দায়ে ২ দেবরের যাবজ্জীবন
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ০০:১৯
নীলফামারীতে শাহীনা খাতুন (২৭) হত্যা মামলার রায়ে দুই দেবরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাহবুবুল আলম ওই রায় দেন।এছাড়া,প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, শাহীনার চাচাতো দেবর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর খড়িবাড়ি ভাষানীচরের বাহাজ আলী শেখ (৪০)ও জাফর আলী শেখ ( ৩৮)।মামলার বিবরণে জানা যায়,ভাষানীর চর সঞ্চয় সমিতির অর্থ সম্পাদক ছিলেন একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শাহীনা খাতুন।সঞ্চয়ের ১৪ হাজার টাকা নিয়ে শাহীনার সঙ্গে দুই দেবরের বিবাদ সৃষ্টি হয়। ২০০৬ সালের ২৯ জুলাই রাতে মুখোশধারী দুই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাহীনা খাতুনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় শাহীনা ঘটনাস্থলে মারা যায়।এ ঘটনায় হত্যার শিকার শাহীনা খাতুনের চাচাত দেবর জাফর আলী শেখ নিজে বাদী হয়ে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ডিমলা থানার এসআই মিজানুর রহমান তদন্তে মামলার বাদী জাফর আলী শেখসহ তার সঙ্গী বাহাজ আলীর যোগসুত্র পেয়ে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার ওই রায় দেন বলে জানান অতিরিক্ত পিপি অ্যাভোকেট আজিজুল ইসলাম প্রামাণিক।/জেবি/এএ/
ভালো কাজ করতে সরকারি অর্থ লাগে না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:১৪
ভালো কাজ করতে সরকারি কোনও অর্থ লাগে না, নিজ উদ্যোগে সবাই মিলে করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ।শুক্রবার ইএসডিও’র আয়োজনে ঠাকুরগাঁও ইএসডিও’র প্রধান কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি প্রচার কৌশল বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ করতে পারবে না। তাই বর্তমান প্রজন্মকে ভালো কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। এটাই তাদের মুক্তিযুদ্ধ।অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ির কলংক মোচন করে পৃথিবীর সবচাইতে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ।ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ-জামানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক মুহা. সাদেক কুরাইশী, প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে জেলার ২১৭ জন শিক্ষক ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদানকারীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।এর আগে মন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।/এএ/
গাইবান্ধায় জামায়াতের দুই কর্মীসহ গ্রেফতার ২৩
দেশ
২১ নভেম্বর ২০১৫, ২০:৩৭
গাইবান্ধায় নাশকতা মামলায় জামায়াতের দুই কর্মীসহ ২৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন জানান, সুন্দরগঞ্জ থানায় নাশকতা মামলায় জামায়াত কর্মী উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মো. মোত্তালেব হোসেন (৪৫) ও গোবিন্দগঞ্জ থানার নাশকতা মামলায় জামায়াত কর্মী উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের লাল মিয়াকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়েছে।এছাড়াও চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ও হত্যা মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলায় মোট ২১ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।/আরএ/টিএন/
রংপুরে মহানগর বিএনপি সভাপতিকে আটকের অভিযোগ, র‌্যাব-পুলিশের অস্বীকার
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:২২
রংপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেনকে তার বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে আটক করে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার আটকের এই ঘটনা ঘটেছে বলে তার পরিবার দাবি করেছে।  তবে, এখন পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান মেলেনি। পুলিশ-র‌্যাবসহ কোনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি।মোজাফফর হোসেনের ছোট মেয়ে মাহিম তাবাসসুম ও ভাতিজি আফরোজা বেগম জানান, শুক্রবার ভোরে নগরীর শালবন এলাকার বাসায় র‌্যাব পরিচয়ে একদল লোক আসে। তারা বিএনপি নেতার সঙ্গে আলাপ আছে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সঙ্গে যেতে হবে বলে মাইক্রেবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে থানায় বা আদালতে সোপর্দ করা হয়নি।পরে বেলা ১১ টার দিকে স্ত্রী সুফিয়া বেগমসহ তার স্বজনরা র‌্যাব কার্যালয়ে গিয়ে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে কি না জানতে চান। র‌্যাব বিএনপি নেতাকে আটক করে নিয়ে আসেনি বলে জানায়। পরে দুপুরে তারা র‌্যাব কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরে আসেন।স্বজনদের দাবি আটক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও মামলা কিংবা অভিযোগ থাকলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হোক।এ ব্যাপারে রপুর র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি।পরে রংপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শরিফুল ইসলামসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও মোজাফফর হোসেনকে পুলিশ আটক করেননি বলে জানান।/এএ/ এমএনএইচ/
সৈয়দপুরে বাসের ধাক্কায় কলেজছাত্রী নিহত
দেশ
২১ নভেম্বর ২০১৫, ২০:৪৬
নীলফামারীর সৈয়দপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মৌ আক্তার (২০) নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন।শনিবার দুপুরে উপজেলার সৈয়দপুর-রংপুর সড়কের হাজীর বটতলী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মৌ সৈয়দপুর পৌরসভার ওয়াপদা মোড় এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে।স্থানীয়রা জানান, মৌ মোটরসাইকেল যোগে সৈয়দপুর থেকে বদরগঞ্জ যাওয়ার পথে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস হাজীর বটতলা নামক স্থানে মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিলে মৌ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।/আরএ/টিএন/
চার দফায় ভারত যাচ্ছেন ৪৮৯ জন
দেশ
২১ নভেম্বর ২০১৫, ২০:৪৮
পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬ ছিটমহলের ৯৮ পরিবারের ৪৮৯ জন ভারত চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম। ২২ থেকে ২৬ নভেম্বর পাঁচ দিনে মোট চার দফায় তারা ভারত যাবেন।রবিবার (২২ নভেম্বর) প্রথম দফায় জেলার সদর উপজেলার গাড়াতি, বোদা উপজেলার নাটকটোকা, বেহুলাডাঙ্গা, কাজলদিঘী ও নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের ১৫ পরিবারের ৫৫ জন স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভারত যাবেন। এ উদ্দেশ্যে শনিবার (২১ নভেম্বর)জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সমবেত হন ভারত গমনেচ্ছুরা। বিজিবি ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের চেকিং শেষে রাতে তারা এখানে থাকবেন। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও বিজিবির মাধ্যমে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ডাঙ্গাপাড়া বিজিবির কাছে তাদের পৌঁছে দেওয়া হবে।পরে ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি কর্তৃপক্ষ চিলাহাটি-হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারতের খালপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের হস্তান্তর করবেন।পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৩ নভেম্বর ২য় দফায় দেবীগঞ্জের কোটভাজনী ও বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী ছিটমহল থেকে ৩১ পরিবারের ১৭৭ জন স্থায়ীভাবে একই পথে ভারতে যাবেন।২৪ নভেম্বর দেবীগঞ্জ উপজেলার দহলা খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের ২৯টি পরিবারের ১৪৯ জন।২৬ নভেম্বর দেবীগঞ্জ উপজেলার দহলাখাগড়াবাড়ী ও বোদা উপজেলার দইখাতা ছিটমহলের ২৩ পরিবারে ১০৮ জন একই পথে ভারত যাবেন।চলতি বছরের ৬ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত জনগণনায় পঞ্চগড় জেলার ৩৬ ছিটমহলের ৪৮৭ জন ছিটমহলের নাগরিক ভারত যেত আবেদন করেন। জনগণনার পর দেবীগঞ্জ উপজেলার কোটভাজনি এলাকার লাল চান রায়ের সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু ভারত চন্দ্র ও একই উপজেলার দহলা খাগড়াবাড়ি ছিটমহলের রতন চন্দ্র রায়ের সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা অষ্টমী রানীর জন্ম হওয়ায় ভারতে যাওয়ার মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৮৯।৩১ জুলাই মধ্যরাতে বাংলাদেশ-ভারতের ভৌগলিক সীমায় থাকা ১৬২ ছিটমহলের আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় সম্পন্ন হয়। ভারতীয় ছিটমহলের অনেকে বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করেন। দুই দেশের বৈঠকে ছিটমহলবাসীর আবেদন গ্রহণ করা হয়। পরে ৪৮৭ জনকে ভারতীয় ট্রাভেল ভিসা প্রদান করা হয়।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন,আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কেউ যেতে না চাইলে তাকে জোর করে পাঠানো হবে না।/এইচকে/টিএন/এসএস/
‘নাটি দিয়া ডাঙাইলেও দ্যাশ ছাড়ব্যার নই’
দেশ
২১ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:১৪
‘নাটি (লাঠি) দিয়া ডাঙাইলেও দ্যাশ ছাড়ব্যার নই। মারি ফ্যালাইলেও ভিটা ছাড়ি যাবার নই। যা হওয়ার হইবে।’ কথাগুলো বলেন দাশিয়ার ছড়ার দেবীরপাট গ্রামের গজেন্দ্র বর্মণ।গজেন্দ্র বর্মণ ছাড়াও দেবীরপাট থেকে ভারতে যেতে চেয়ে পরে মত পাল্টেছেন নারায়ণ বর্মণ, রামপ্রসাদ বর্মণ, বাবুল বর্মণ, শশীভূষণ বর্মণ, কৃষ্ণকান্ত বর্মণ, মণীন্দ্র বর্মণ, মোহন বর্মণ, কামনি বর্মণ, দধিরাম বর্মণ ও বদিয়ার রহমানের পরিবারসহ মোট ১৭টি পরিবার। সর্বশেষ মোট ৬৪ জন বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এবং ভারতীয় হাইকমিশনে পৃথকভাবে আবেদন করেছেন।এদিকে ভারতে যাওয়ার জন্য পাওয়া ট্রাভেল পাসের উল্লিখিত সময়টি পেরিয়ে যেতে আর বাকি আছে মোটে ৯ দিন। তাই থেকে যাওয়ার আবেদনকারীদের মনে দেখা দিয়েছে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন সংশয়। দেবীরপাট গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর বর্মনের প্রশ্ন, ‘ভিটা ছাড়ি আর যাবার নই, কিন্তু সরকার মানবে তো!’ প্রথম দফায় ভারতে যাওয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করার পরও এখন কেন তারা মত বদলেছেন, সে প্রশ্নের উত্তরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, বর্মণদের কারও কারও বসতবাড়ি ছাড়াও ২০-২৫ বিঘা জমি আছে এ দেশে। নতুন ভূখণ্ডে যেতে হলে ওই ভূসম্পত্তি ছেড়ে যেতে হবে। অনেকের পারিবারিক আদি নিবাস বাংলাদেশে হওয়ায় এ দেশ ছেড়ে যাওয়ায় আপত্তি তো রয়েছেই। জানা যায়, ট্রাভেল পাস নিয়ে অনেকেই ইতোমধ্যে ভারতে ঘুরে এসে হতাশ হয়েছেন। যেসব সুবিধা সেখানে পাওয়ার কথা তারা শুনেছিলেন তার সঙ্গে বাস্তব মিল আছে সামান্যই। এদেরই একজন বাবুল বর্মণ।    তিনিসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, সেপ্টেম্বর মাসে তারা কোচবিহারের দিনহাটায় গিয়ে দেখে এসেছেন, ছিটের লোকদের জন্য দিনহাটার কৃষি মেলার পাশে ঘিঞ্জি পরিবেশে পরিবার প্রতি ১৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের দুটি করে ঘর বানানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে সেখানে গিয়ে কাজ পাওয়ারও কোনও নিশ্চয়তা পাননি তারা। আর জমি বরাদ্দের বিষয়ে সে দেশের সরকারি সিদ্ধান্ত কী, সে ব্যাপারেও তারা কিছু জানেন না। অন্যদিকে বিলুপ্ত ছিটমহলে জমি বিক্রি আপাতত বন্ধ আছে। তাই জমিগুলো বিক্রিও করা যাচ্ছে না।বিপরীতে বাংলাদেশে বিপুল সুবিধা পেতে যাচ্ছেন সাবেক ছিটবাসীরা। বিদ্যুৎ সংযোগ ও যাতায়াতের সুব্যবস্থাসহ সকল নাগরিক সুবিধা হাতের নাগালে চলে আসছে। প্রধানমন্ত্রীও পরিদর্শনে এসে তাদের ‘একগুচ্ছ ফুল’ বলে ডেকেছেন।দাশিয়ার ছড়ার এমন অবস্থার পর বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষে পরিদর্শন করা হয় কুড়িগ্রামের আরেক উপজেলা ভূরুঙ্গামারীতে। এর সাবেক ছিটমহল গোড়লঝাড়া থেকে ৩০ জন ভারতে যাওয়ার ট্রাভেল পাস নিলেও ইতোমধ্যে তা বাতিলের আবেদন করেছেন ছয়জন। তারাও বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে এবং নাগরিকত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও জটিলতায় পড়তে পারেন কিনা সংশয়ে রয়েছেন।তাদের সংশয়গুলোর বিষয়ে কথা হয় ছিটমহল বি‌নিময় সমন্বয় ক‌মি‌টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সঙ্গে। তিনি মনে করেন, দেশে থেকে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এখনও পর্যন্ত ৭০ জন ভারত না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্যে ফোনে যোগাযোগ করা হয় রাজশাহীস্থ ভারতের সহকারী হাই কমিশনার সন্দ্বীপ মিত্রের সঙ্গে। মিত্র জানান, ৩০ নভেম্বরের পর উভয় দেশ আলোচনা করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আশা করছি তাদের কোনও সমস্যা হবে না।কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খাঁন মো. নুরুল আমিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়। অপর পক্ষ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।উল্লেখ্য, ভারতীয় সংসদে স্থলসীমান্ত চুক্তির বিলটি পাস হলে চলতি বছরের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ভারত-বাংলাদেশের ভেতরে অবস্থিত ১৬২ ছিটমহল বিনিময় হয়। গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির দাশিয়ার ছড়ায় এবং ভুরুঙ্গামারীতে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম জেলার বিলুপ্ত বিভিন্ন ছিটমহল থেকে ভারতে গমনেচ্ছু ২৬৪ জনকে ট্রাভেল পাস দেওয়া হয়। ৩০ নভেম্বর তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে।  /জেবি/এফএস/এইচকে/টিএন/
গাইবান্ধায় চার পুলিশ হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
দেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ১৩:০১
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বামনডাঙ্গায় চার পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত ওই আসামির নাম মো. ছামিউল ইসলাম (২৮)। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাইতনতলা গ্রাম থেকে শনিবার রাত ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ছামিউল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদনাথ (ছাইতনতলা) গ্রামের বাসিন্দা।সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রাজা মিয়া জানান, ছামিউল ইসলাম দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ইসরাইল হোসেন জানান, ছামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় পুলিশ হত্যাসহ নাশকতার ১২টি মামলা রয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বামনডাঙ্গাসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। ওই দিন বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে সহস্রাধিক সশস্ত্র জামায়াত-শিবিরকর্মী ঢুকে চার পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি ও জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল আজিজসহ ১০০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। /জেবি/এফএ/
কুড়িগ্রাম থেকে প্রথম দফায় ভারত গেলেন ৭২ জন
দেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ২২:৪৯
কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে প্রথম দলটি ভারতে পৌঁছেছে। জেলার সদ্যবিলুপ্ত ১২টি ছিটমহলের মধ্যে দুইটি ছিটমহলের (ফুলবাড়ি উপজেলার দাশিয়ারছড়া, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার গাড়োলঝাড়া) ৭২ জন বাসিন্দা ভারতে যাওয়ার জন্য সকাল ১১ টায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভণ্ডার সীমান্তের অস্থায়ী চৌকিতে আসেন। সেখানে ট্রাভেল পাস পরীক্ষার পর দুপুর দেড়টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।ভারতে তাদের বরণ করে নেন কোচবিহারের ডিএম পিউল গানাথনসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি অভিজিত মিত্র। এ সময়বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, ৪৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কুড়িগ্রামের পরিচালক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়াসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় দুটি মিনিবাস ও দশটি পিকআপ নিয়ে তারা নিজ নিজ এলাকা থেকে বাগভাণ্ডারের উদ্দেশে রওনা হন।একই ছিটের বাসিন্দা রশিদা ও তার স্বামী রবিউল যাচ্ছে দুই ছেলেসহ। রবিউলের বাড়ি বিলুপ্ত এই ছিটে হলেও রশিদার বাবার বাড়ি বাংলাদেশে ফুলবাড়ির বড়ভিটায়। মা সোনাভানকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে রশিদার। পরিবারটির মতো চোখের জলে ভাসছে আরও অসংখ্য পরিবার।২৪ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভারত যাবেন দাশিয়ারছড়ার ১১৫ জন। ২৬ নভেম্বর তৃতীয় দফায় যাবেন দাশিয়ারছড়ার ৭৮ জন।কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ১২টি বিলুপ্ত ছিটমহল থেকে ৩০৫ জন ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ২৬৫ জন।/এইচকে/এসএস/
দেবীগঞ্জের বিলুপ্ত ছিটমহলের ১৪৭ জন ভারত যাচ্ছেন
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:২৫
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত কোটভাজনী ও বালাপাড়া ছিটমহলের ২৮টি পরিবারের ১৪৭ সদস্য স্থায়ীভাবে ভারত যাচ্ছেন।সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের গাজোকাঠি হাইস্কুল মাঠে চেকিং ও লোডিং পয়েন্ট থেকে ৪টি বাস ও ৭টি ট্রাকে মালামালসহ তারা রওয়ানা দেন। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত থেকে বহরটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেন।হাইস্কুল মাঠে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি রমা কান্ত গুপ্তের হাতে তাদের হস্তান্তর করেন। পরে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বিজিবি ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গাড়িবহরটি নিয়ে চিলাহাটি সীমান্তের আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবেন। সেখানে ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষ করে তাদের চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে।এর আগে রবিবার বিকেলে প্রয়োজনীয় মালামালসহ তাদের গাজোকাঠি বাজার এলাকায় স্থাপিত চেকিং ও লোডিং পয়েন্টে আনা হয়। কাস্টমস ও বিজিবি কর্তৃপক্ষের চেকিং কার্যক্রমের পর সেখানে তাদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়।উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলার ৩৬টি ছিটমহল থেকে প্রথম দফায় ৪৮ জন নাগরিক স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভারতে যান।/জেবি/এমআর/
বিলুপ্ত ছিটমহলের উন্নয়নে ১৯৫ কোটি টাকার প্রকল্প
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:৪০
সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১৯৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তবনা পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। এ সব এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে দীর্ঘ ৬৮ বছর পর এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। সোমবার নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. জাকীর হোসেন তার নিজ কার্যালয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে  এ তথ্য জানান।সূত্র জানায়, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে পরিবহন ব্যয় কমবে, কৃষি ও অকৃষি পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এ সব প্রকল্প স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সার্বিকভাবে দেখাশোনা করবে।সূত্রমতে, ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুন মেয়াদে এলজিইডি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে। দেশের চারটি জেলার ১২টি উপজেলায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ, বোদা ও সদর,  কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, সদর, ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী, রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।অন্যদিকে, নীলফামারী জেলার ডিমলা, লালমনিরহাট সদর, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলাকে প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। প্রকল্পভিত্তিক কার্যক্রমগুলো হলো ৬ দশমিক ৩০ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ১৭ দশমিক ১৯ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক ও ১৬৭ দশমিক ৮২ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হবে।এছাড়া, ২৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার মাটির রাস্তার পাশাপাশি ২৭ মিটার কালভার্ট তৈরি করা হবে। তাছাড়া, গ্রামীণ সড়কে ৬৮৪ মিটার কালভার্ট নির্মাণের কাজ করা হবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২টি মার্কেট ও গ্রোথসেন্টার, ১৫টি মসজিদ, ৮টি কমিউনিটি সেন্টার, ৭টি মন্দির, ৮টি পুকুর ঘাট, ৪টি কবরস্থান, ৩টি শ্মশানঘাট নির্মাণ করা হবে। ২৩০ কিলোমিটার স্লোপ প্রোটেকশনসহ ছিটমহলগুলোয় ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করা হবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, ১৯৪৭ সালের পর গত ৬৮ বছরে সাবেক এই ছিটমহলগুলোয় কোনও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এবারই প্রথম বাংলাদেশে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলে উন্নয়নের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে।এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব রইছ উদ্দিন বলেন, বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর  ভাগ্যোন্নয়নে প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সড়ক, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাটবাজার, কবরস্থান, মন্দির ও শ্মশানঘাট, নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি সেন্টার, খাল, বিল ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাও প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।/এফএস/ এমএনএইচ/
ডিমলায় ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি গ্রেফতার
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:২৪
নাশকতার আশঙ্কায় নীলফামারীর ডিমলায় ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমীন খান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের আমির ও স্থানীয় আইনুল হক মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আমিনুর রহমান (৪৭) এবং একই ইউনিয়নের সেক্রেটারি ও স্থানীয় কাকড়া বাজার দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আমজাদ হোসেন (৪৮)।ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমীন খান জানান, তারা দুজনে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বেপারীটোলা ভোটকেন্দ্র ও সোনাখুলি মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের সহিংসতার চার্জশিটভূক্ত আসামি। বিকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।/আরএ/এএ/
ডোমারে ট্রাক চাকায় দাদী-নাতনি নিহত
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:২৭
বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের বিদায় জানাতে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দাদী ও নাতনির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলার চিলাহাটি-ডোমার সড়কের বিডিআর ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নিহতরা হলেন, উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের বিওপি বাজার প্রমানাকি পাড়ার মামুদের স্ত্রী রহিমা বেগম (৫০) ও তার নাতনি সাহাদাত হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১০)।স্থানীয়রা জানান, সোমবার দ্বিতীয় দফায় পঞ্চগড় জেলার বিলুপ্ত ছিটমহল বাসীদের বিদায় জানাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমানার কাছে যান দাদী ও নাতনি। ছিটমহল বাসীদের বিদায় জানানোর পর ফিরে আসার পথে বিডিআর ক্যাম্পের কাছে আসলে ছিটমহল বাসীদের মালামাল বহনের জন্য ব্যবহৃত একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তারা দুজন নিহত হন।/আরএ/এএ/
সুন্দরগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলের মেয়ে ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:০৯
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবল পরিমল চন্দ্রের স্ত্রী কৃষ্ণা রাণীর (২৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার শয়ন কক্ষের বিছানা থেকে দেড় বছরের মেয়ে অর্পিতার লাশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের বামনজল এলাকার বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার আকাশীল গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র সুন্দরগঞ্জ থানায় কর্মরত আছেন। তিনি উপজেলা সদরের বামনজল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে থাকতেন। মৃত কৃষ্ণা রাণী (২৬) ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের কালিকাগাঁও এলাকার নলিনী কান্তরায়ের মেয়ে।সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. ইসরাইল হোসেন কনস্টেবল পরিমল চন্দ্রের বরাত দিয়ে জানান, পুলিশ কনস্টেবল পরিমল চন্দ্র প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে পরিমল চন্দ্র ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী বিছানায় নাই এবং বিছানায় অর্পিতার দেহ পড়ে আছে। বাড়ির বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাকে না পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে প্রতিবেশীরা এসে দেখতে পায় রান্না ঘরের ধর্ণার সঙ্গে রশিতে ঝুলে আছে কৃষ্ণা রাণীর দেহ। তবে কী কারণে তিনি গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত দেহ দু’টিতে জখমের কোনও চিহ্ন ছিল না। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।পরিমল চন্দ্র রায় জানান,সম্প্রতি তাদের মধ্যে কোনও ঝগড়া-বিবাদও হয়নি। কেন এমন ঘটলো তা তিনি অনুমান করতে পারছেন না।গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, বিষয়টির তদন্ত অব্যাহত আছে। এর বেশি এখন আর কিছু বলা সম্ভব নয়।/জেবি/এএ/
সাদুল্লাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ২০:১১
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মুন্সিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব ড. জুলিয়ান মঈন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গত ২২ নভেম্বর এ আদেশ জারি করা হয়। সোমবার সকালে ওই প্রজ্ঞাপন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো.আবদুস সামাদ। প্রজ্ঞাপন সূত্রের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, আদালত চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানার জি আর ২৫৯/১৩(খ) এর অভিযোগ পত্র গ্রহণ করায় উপজেলা পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থি বলে সরকার মনে করে। তাই উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (উপজেলা পরিষদ (সংশোধন)আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত) এর ১৩খ (১) ধারা অনুসারে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল।সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবদুল্লা আল মামুন তালুকদার জানান, উপজেলা পরিষদের এক নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. আকতার বানু লাকী এখন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য সরকারি কোনও আদেশের প্রয়োজন নেই।/জেবি/এএ/
সুন্দরগঞ্জে স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বিস্কুট উদ্ধার
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:২২
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরকারি স্কুল ফিডিং প্রকল্পের ৯৭ প্যাকেট বিস্কুট উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। জাতীয় শ্রেষ্ঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত উপজেলার শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি ক্লিনিক চত্বর থেকে সোমবার রাতে ওই বিস্কুটগুলো উদ্ধার করা হয়।পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উদ্ধার করা বিস্কুটের প্যাকেটগুলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহা. হাবিবুল আলমের কাছে জমা দিয়েছেন।উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মিরান জানান,সোমবার সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত এক যুবককে একটি স্কুলব্যাগসহ ওই চত্বরে দেখা যায়। পরে ‘কে ওখানে’ বলে তিনি চিৎকার করলে ওই যুবক স্কুল ব্যাগটি ফেলে পালিয়ে যায়। ওই স্কুলব্যাগ খুলে তারা এই বিস্কুটগুলো পায়।তিনি আরও জানান,তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা বিস্কুটগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহা. হাবিবুল আলমের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া বিস্কুটের প্যাকেটগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের। এগুলো কোন বিদ্যালয়ের তা খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুল আলম জানান, বিস্কুটের প্যাকেটগুলো তার হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।/জেবি/এএ/
দ্বিতীয় দফায় ভারতে গেলেন ১৫৮ জন
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ২০:৫৮
কুড়িগ্রামে সদ্যবিলুপ্ত ছিটমহলগুলো থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও ১৫৮ জন ভারতে চলে গেলেন। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) প্রায় ৩০টি পরিবারের এই ১৫৮ জন সদস্য নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছাড়েন।   ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভাণ্ডার সীমান্তের অস্থায়ী চেক পয়েন্ট দিয়ে দুপুর ১টা  থেকে ২টা পর্যন্ত ভারতের কোচবিহার জেলা প্রশাসনের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার ১৫৭ জন ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার একজন ছিলেন।এসব পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সকাল ১০টায় ৫টি বাস ও ২৩টি পিকআপ ভ্যানে করে বাগভান্ডার অস্থায়ী চেক পয়েন্টে পৌঁছান। পরে বাগভান্ডার চেক পয়েন্টে দু’দেশের ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে তাদের ট্রাভেলপাস পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে তাদের শেষ বিদায় জানান ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া। ভারতের পক্ষে তাদের বরণ করেন ভারতের কোচবিহারের ১০১ বিএসএফ কমান্ডার আখতার হোসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের সদস্য সচিব অভিজিত মিত্র।ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে অনেকে খুশি হলেও জন্মভূমি, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশির মায়া ত্যাগ করে নতুন ঠিকানায় যাওয়ার মুহূর্তে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই।ভারতে চলে যাওয়ার মুহূর্তে দাশিয়ার ছড়া ছিটের বাসিন্দা শান্তি বালা (৮০) বলেন, ‘শেষ বয়সে ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতির সঙ্গে ভারতে যাচ্ছি। স্বামীর চিতা ছেড়ে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ভারত গেলেও মন এই দেশেই প‌রি থাকপে।’ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মাহমুদ জানান, কুড়িগ্রামের অভ্যন্তরের বিলুপ্ত ছিটের ৩০৫ জন বাসিন্দা প্রথম অবস্থায় ভারতে যাওয়ার সীদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত দুই দফায় ভারতে গেলেন ২৩০ জন বাসিন্দা। এর মধ্যে প্রথম দফায় ১৯ নভেম্বর ভারতে যান ৭২ জন। বাকী ৭৫ জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭০ জন না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে। চারজন এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে কোনও কাগজপত্র জমা দেননি। তবে বাকিরা চাইলে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে যেতে পারবেন।ভারতীয় হাইকমিশন রাজশাহীর সদস্য সচিব অভিজিত মিত্র জানান, কুড়িগ্রাম থেকে দুই দফা ২৩০ জন সাবেক ছিটের বাসিন্দা ভারত গেছেন। ভারতের যাওয়া বাসিন্দাদের জন্য কোচবিহার জেলার দিনহাটায় নিবাসসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।/জেবি/এফএস/
পঞ্চগড় থেকে ভারতে আরও ১৫২ জন
দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:০২
জন্মের নেওয়ার দুদিন পরেই জন্মস্থান ত্যাগ করল একাদশী রানী ও ভারত চন্দ্র। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দহলা খাগড়াবাড়ি ছিটমহল ছেড়ে বাবা-মায়ের নতুন ঠিকানা ভারতের উদ্দেশে  বাংলাদেশ ছাড়েন এমন আরও ১৫০ জন। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।সকালে দেবীগঞ্জ থেকে তৃত্বীয় দফায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভারতে যাচ্ছেন তারা। সকাল সাড়ে ৯টায় দেবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমা কান্ত গুপ্তের হাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেন।এরপর ভারতীয় রমা কান্ত গুপ্ত ও দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চারটি বাস ও আটটি ট্রাকের একটি বহর নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে রওয়ানা হয়। চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের দিকে হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন।জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৩০টি পরিবারের ১৫০ জন নাগরিক যাওয়ার কথা থাকলেও দুই নবজাতকের জন্ম হওয়ায় দুইজন বেড়েছে। এরমধ্যে ৬৩ জন পুরুষ, মহিলা ৪৯ জন এবং ২ নবজাতকসহ শিশু ৪০ জন।একাদশী রানীর মা মায়া রানী জানান, স্বামীর জন্যই আমাকে সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। বাংলাদেশী স্কুলের শিক্ষার্থী ঝরনা হেমব্রম জানান আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠীদের ছেড়ে চলে যাওয়ার বেদনার কথা।/এইচকে/এসএস/
কুড়িগ্রামে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু
দেশ
২৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:১৬
কুড়িগ্রামে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত ডিসি (জেলা প্রশাসক)-ডিএম (ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট) পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বুধবার সকাল ১০ টায় এ বৈঠক শুরু হয়।দুদিনব্যাপী এই বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, চোরাচালন প্রতিরোধ, বঙ্গ সোনাহাট স্থলবন্দরের উন্নয়ন, দুই জেলার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিনিময়সহ ৬টি বিষয় আলোচনা হবে।বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিনের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. তবারক উল্লাহ, ৪৫ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল মো. জাকির হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবর রহমান পাটোয়ারীসহ  ৮ সদস্যর প্রতিনিধি দল।অপরদিকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছেন আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ও ধুবরী জেলা নির্বাচন অফিসার দিগন্ত দাস।দ্বিতীয় দিনের বৈঠক বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।/জেবি/এএ/
পঞ্চগড় থেকে ভারতে গেলেন আরও ১০৫ জন
দেশ
২৬ নভেম্বর ২০১৫, ১২:৪৭
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত দহলা খাগড়াবাড়ি ও বোদা উপজেলার দইখাতা ছিটমহল থেকে চতুর্থ দফায় ভারতে গেলেন ২১ পরিবারের ১০৫ জন।বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় দেবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে তাদের ভারত যাওয়ার সব কার্যক্রম শেষ হয়।প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম ভারতীয় হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমা কান্ত গুপ্তের হাতে কাগজপত্র তুলে দেন।এর আগে প্রথম দফায় জেলার সদর উপজেলার গাড়াতি, বোদা উপজেলার নাটকটোকা, বেহুলাডাঙ্গা, কাজলদিঘী ও নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের ১৪টি পরিবারের ৪৮ জন, দ্বিতীয় দফায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত কোটভাজনী ও বালাপাড়া ছিটমহলের ২৮টি পরিবারের ১৪৭ জন এবং তৃতীয় দফায় বিলুপ্ত দহলা খাগড়াবাড়ি ছিটমহলের ৩০টি পরিবারের ১৫২ জন স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছেন। অবশিষ্ট ৩৯ জনের মধ্যে ৩৪ যাবেন ৩০ নভেম্বর। বাকি পাঁচজন বাংলাদেশই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম ৩টি বাস ও ৫টি ট্রাকে ভারতীয় নাগরিক ও মালামাল নিয়ে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে রওনা দেন। চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের আগেই সাবেক ছিটমহলের ওই অধিবাসীরা হলদিবাড়ী সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাবেন।উল্লেখ্য, পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলের ৯৮ পরিবারের ৪৮৯ জন নাগরিকের স্থায়ীভাবে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।/এনএস/এফএস/
অ্যান্ড্রয়েডের গোপন ফিচার!
তথ্যপ্রযুক্তি, ট্রিকস
২৯ নভেম্বর ২০১৫, ১২:০৩
স্মার্টফোন মানেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের কারুকাজ। নানা ধরনের ফিচার সম্বলিত এ অপারেটিং সিস্টেম মোবাইল জগতে দিয়েছে নিত্য-নতুন অপশন। তবে ব্যবহারকারীদের এরকম অনেক ফিচারই থাকে অজানা। অ্যান্ড্রয়েডের এমন কিছু গোপন ফিচার নিম্নে দেওয়া হলো-অ্যাপস ডাউনলোড তালিকাএ পর্যন্ত কতগুলো অ্যাপস ডাউনলোড করেছেন তা জানার জন্য অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে আছে ফিচার। প্লেস্টোরে গুগল সার্চ-বার ট্যাপ করার পর ‘অ্যাপস এন্ড গেমস’-এর ব্যানারে ‘মাই অ্যাপস’ অপশনে ক্লিক করলে আপনি এ পর্যন্ত যা ডাউনলোড করেছেন তার তালিকা চলে আসবে।ফোন আনলকনির্ভরযোগ্য স্থানে আপনার ফোন স্বয়ংত্রিয়ভাবে আনলক করার অপশনও আছে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে। অ্যান্ড্রয়েডের পাঁচ বা তার পরের ভার্সনে এ ফিচারটি আছে। সেটিংস মেন্যুতে গিয়ে সিকিউরিটিতে ক্লিক করলে স্মার্ট লক ফিচারটি আসবে সেখানে আপনি আপনার নির্ভরযোগ্য স্থানগুলো নির্ধারণ করে দিলে জিপিআরএস সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার বাড়ি বা অফিসে (যদি এ জায়গাগুলো নির্ভরযোগ্য স্থান হিসেবে সিলেক্ট করা থাকে) লক খোলার জন্য পিন বা পাসওয়ার্ড দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।ডিলিট করা কিছু ফিরে পেতেফোনে অনেক নোটিফিকেশনই আসে যা আমরা না পড়েই ডিলিট করে দিই, কিন্তু যদি কোনো নোটিফিকেশন ফিরে পাওয়ার দরকার হয় তাহলে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের ফোনে খালি স্ত্রিনে চাপ দিয়ে ধরে রাখলে ‘উইগেট’ আসবে, সেখানে ট্যাপ করলে সেটিংস শর্টকাট আসবে, তখন সেটিংস শর্টকাট থেকে নোটিফিকেশন লগ অন করে ডিলিট করা নোটিফিকেশন ফিরে পাওয়া যাবে।সাইলেন্ট থাকা অবস্থায় ফোন খুঁজে পেতেসাইলেন্ট অবস্থায় ফোন খুঁজে পাচ্ছেন না এবং অন্য কারো ফোন দিয়ে কল দিলেও তো তখন রিং বাজবে না। তবে অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের একটি ফিচার সক্রিয় করে এ সমস্যা দূর করতে পারেন। ফোনের ব্রাউজারে ‘ফাইন্ড মাই ফোন’ টাইপ করলে রিং, লক ও ইরেজ অপশন পাবেন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন অপশন চালু করতে পারেন।জুম করার সুবিধাঅ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে টেক্সট জুম করা ছাড়াও যেকোন আইকন বা ন্ত্রিন জুম করা যায়। সেটিংস অপশনে গিয়ে ‘ম্যাগনিফিকেশন জেষ্টার্স’এ ট্যাপ করে এই অপশন চালু করা যায়।কল ও এসএমএস নিয়ন্ত্রণঅপরিচিত জায়গা থেকে কোন কল বা এসএমএস পেলে বিরক্ত হন?  তাহলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস অপশনে ‘সাউন্ড এন্ড নোটিফিকেশন’ অপশনে যান এবং ‘ইন্টারাপশন’ অপশনে গিয়ে যেকোনো কল বা এসএমএস অপশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।গোপনীয়তা রক্ষাফোনের কাছে না থাকলে আপনার কাছে আসা মেসেজ বা অন্য কোনো নোটিফিকেশন কেউ যেন না দেখতে পারে সেজন্য অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে আছে ব্যবস্থা। নোটিফিকেশন গিয়ে ‘হোয়েন ডিভাইজ ইস আনলক্ড’ অপশনটি চালু করুন, তাহলে আপনি ফোন আনলক না করা পর্যন্ত অন্য কেউ নোটিফিকেশন দেখতে পাবে না।/এনএস/
ইন্টারনেটে ধীর গতি, অ্যাপস চালু না হলে আরও কমবে!
তথ্যপ্রযুক্তি
২২ নভেম্বর ২০১৫, ২১:৩৮
হঠাৎ দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চালু হলেও ইন্টারনেটে ফিরে আসেনি আগের গতি। দিন দিন গতি আরও কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপস বন্ধ করার ফলে ইন্টারনেটে গতি কমে গেছে। অ্যাপসগুলো ক্লাউড নির্ভর হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, এগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত।তবে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারও কমে গেছে। অন্তত ব্যান্ডউইথের পরিমাণ তাই বলছে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, হালের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ থাকায় ব্যান্ডউইথ খরচ হচ্ছে কম। ফেসবুক বন্ধ থাকায় লগইন করা, স্ট্যাটাস দেওয়া, ছবি শেয়ার করা, বিভিন্ন লিংকে প্রবেশ করে সাইট ব্রাউজ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন দৈনিক এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমের খবরও ফেসবুকে শেয়ার না করতে পারায় পাঠক সংখ্যা কমে গেছে।  ফেসবুকে প্রবেশের স্বাভাবিক পথ বন্ধ থাকায় মোট ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের প্রায় ৪০ শতাংশ (সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে বর্তমানে ১৩৭ গিগা ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে) অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে।প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাজা বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এরপর জামায়াত বৃহস্পতিবার হরতাল আহ্বান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায়’ সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিটিআরসি প্রথম দফায় ফেসবুক,  ভাইবার,  মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের নির্দেশনা দেয়। পরবর্তীতে লাইন, ট্যাঙ্গো ও হ্যাংআউট বন্ধেরও নির্দেশনা আসে। এক পর্যায়ে ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দেড় ঘণ্টা ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না সারাদেশে। যদিও সরকার দাবি করে, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি। ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।জানা যায়, গত পাঁচ দিনে দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ৫০ শতাংশ কমে গেছে। ইন্টারনেটে ট্রাফিকও (ব্যবহারকারীদের উপস্থিতি) কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। তবে এ কমে যাওয়া ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে নয়। ফেসবুক, ভাইবার, মেসেঞ্জার, লাইন, ট্যাঙ্গো ও হ্যাংআউট থাকায় ব্যবহারকারী কমেছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুক, ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল ইউটিউব এবং কথা বলার অ্যাপ লাইনে মোট ব্যান্ডউইথের ৪০-৪৫ শতাংশ ব্যবহার হয়। এছাড়া অ্যামাজন নেটওয়ার্ক এবং মালয়েশিয়াভিত্তিক আকামাই সিডিএমএ নেটওয়ার্ক মিলিয়ে ৭০-৭৫ শতাংশ ব্যান্ডইউথ ব্যবহার হয়। সংশ্লিষ্টরা বলেন, কয়েকটি অ্যাপস বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট ট্রাফিকে প্রভাব পড়েছে, ফলে ব্যান্ডউথের ব্যবহার কমেছে। আর সার্বিকভাবে প্রভাব পড়েছে ইন্টারেনেটের গতিতে।ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ক্লাউড সার্ভিসে হোস্ট করা। আমরা ভাইবার বন্ধ করতে গেলে (অ্যামাজন নেটওয়ার্কে হোস্ট করা) ১০-১৫ লাখ ওয়েবসাইটে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের ধরে ধরে একটা একটা করে আইপি ব্লক করতে হচ্ছে। ফলে নেটওয়ার্কে সমস্যা হওয়ায় ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, তাদের এখন প্রতিদিন ৫০-১০০টা আইপি ব্লক করতে হচ্ছে। এটা করা না হলে ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখা মুশকিল হয়ে পড়ছে।তিনি জানান, এসব না করে একবারে যদি অ্যামাজন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে। তবে বড় ধরনের একটা সমস্যাও হবে। অ্যামাজন বন্ধ করলে একবারে প্রায় ৫০ লাখ ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাবে। যে নেটওয়ার্কে দেশের বড় বড় নিউজ পোর্টাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট হোস্ট করা রয়েছে।বাংলাদেশের সমস্যার কারণে মালয়েশিয়ার আকামাই সিডিএমএ নেটওয়ার্কের ৭০ ভাগ ট্রাফিক পড়ে গেছে বলে জানান তিনি।এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এম এ হাকিম বলেন, দ্রুত এসব অ্যাপস খুলে দেওয়া না হলে সমস্যা আরও বাড়বে। ইন্টারনেটের গতি আরও ধীর হয়ে যাবে। তখন সব সাইটে ঢোকা যাবে না, ঢোকা গেলেও সময় লাগবে অনেক, ছবিও ঠিকমতো দেখা যাবে না। এমনকি সংশ্লিষ্ট সাইটে রাখা ভিডিও দেখতেও সমস্যা হবে।           /এইচএএইচ/এসএস/
উন্মোচিত হলো আইফোন সিক্স এস ও সিক্স এস প্লাস (ভিডিওসহ)
তথ্যপ্রযুক্তি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:১৩
প্রতি বছর ৯ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। এ দিনে দুনিয়ার সবচেয়ে স্টাইলিশ প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের বিভিন্ন আইটেম বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।  এবারও ব্যতিক্রম হলো না। সব জল্পনা-কল্পনা ও আইফোনপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে থ্রিডি টাচ ডিসপ্লেসহ আইফোন সিক্স এস এবং  সিক্স এস প্লাসের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন হলো।যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে মোড়ক উন্মোচন করেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও টিম কুক। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। আইফোনের আগে অনুষ্ঠানে আইপ্যাড প্রো ও অ্যাপল টিভিরও মোড়ক উন্মোচন করা হয়।অ্যাপলের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি ভিত্তিক কেনার ক্ষেত্রে আইফোন সিক্স এস এর মূল্য শুরু হবে ১৯৯ ডলার (প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার টাকা) থেকে এবং আইফোন সিক্স এস প্লাসের মূল্য ২৯৯ ডলার (প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার টাকা)।আনলকড ১৬ জিবি আইফোন সিক্স এস-এর মূল্য শুরু হবে ৬৪৯ ডলার (প্রায় ৫০ হাজার টাকা) থেকে। এছাড়া ৩২ ও ৬৪ জিবির দাম যথাক্রমে ৭৪৯ ও ৮৪৯ ডলার।  আইফোন সিক্স এস প্লাসের  (১৬ জিবি) মূল্য শুরু হবে ৭৪৯ ডলার থেকে। ৩২ ও ৬৪ জিবির ক্ষেত্রে মূল্য হবে যথাক্রমে ৮৪৯ ও ৯৪৯ ডলার।১২ সেপ্টেম্বর থেকে অগ্রিম নতুন আইফোনের অর্ডার দেওয়া যাবে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, জাপান, নিউজিল্যান্ড, পোর্তো রিকো, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রিম অর্ডার দেওয়া যাবে। কয়েকটি দেশে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পাওয়া যাবে। আর এ বছরের শেষের দিকে বিশ্বের ১৩০টি দেশে পাওয়া যাবে।অনুষ্ঠানে নতুন আইফোনের বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরেন সংস্থাটির প্রকৌশলীরা। আইফোন সিক্স এস পাওয়া যাবে চারটি রঙের। সিলভার, গোল্ড, স্পেস গ্রে ও রোজ গোল্ড। থাকবে থ্রিডি টাচ সুবিধা। এর ফলে হোম স্ক্রিনে থেকেই বিভিন্ন অ্যাপস চালানোর সুযোগ তৈরি হবে। তবে থ্রিডি টাচ সুবিধা পুরনো আইফোনগুলোতে পাওয়া যাবে না।নতুন আইফোনে ১২ মেগা পিক্সেলের আইসাইট ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে।  আগের  তুলনায় নতুন আইফোন দিয়ে প্রফেশনাল মানের ছবি তোলা যাবে। আর সেলফিপ্রেমীদের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে ৫ মেগা পিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। থ্রিডি টাচ ডিসপ্লে ব্যবহার করে লাইভ ফটো নামক সুবিধা পাওয়া যাবে।ভিডিও রেকর্ডিংয়েও চমক থাকছে। নতুন আইফোন দিয়ে ৪ হাজার ভিডিও ধারণ করা যাবে। প্রতিটি ফ্রেমে থাকবে ৮ মিলিয়ন পিক্সেল।থাকছে নতুন অ্যাক্সেসরিজও। চার্জার, চামড়া ও সিলিকন কভার। অ্যাপল জানায়, নতুন আইফোন তৈরি করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব হিসেবে।অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া আইওএস-৯ পাওয়া যাবে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে।এ সংক্রান্ত আরও খবর-উন্মোচিত হলো আইপ্যাড প্রো<iframe src="http://www.youtube.com/embed/cSTEB8cdQwo?autoplay=1"></iframe>/এএ/এমএনএইচ/
টঙ্গীতে পিস্তলসহ গ্রেফতার ১
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১১:১৮
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিনসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে টঙ্গীর সফি উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার যুবকের নাম ফারুক হোসেন (২৪)। সে টঙ্গীর বস্তুহারা (এরশাদ নগর) এলাকার ৪নং ব্লকের নান্নু মিয়ার ছেলে।টঙ্গী থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে টঙ্গীর সফি উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিনসহ গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে টঙ্গী থানায় মামলা হয়েছে।/এএইচ/
মুন্সীগঞ্জে ৫ ডাকাত আটক
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১১:৪১
মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখান উপজেলার চালতিপাড়া এলাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে তাদের আটক করা হয়।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়। এসময় ডাকাতের একটি দল টহল পুলিশ দলের সামনে পরলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে পুকুরের কচুরি পানার নিচ থেকে ডাকাত দলের কয়েক সদস্যকে আটক করা হয় এবং কয়েকজন পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামান জানান, পুলিশের টহল টিম ধাওয়া করে পানি থেকে ৫ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে। তাদের অন্য সদস্যদের ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত সদস্যরা ডাকাতি করার জন্য এসেছে বলে স্বীকার করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে ডাকাত সদস্যের নাম এখনও বলা যাবে না বলে জানান সামসুজ্জামান।/এএইচ/
নিরাপত্তাকর্মী সেজে আবারও কারখানায় ডাকাতি, আহত ৫
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:৫২
সাভারে একটি পোশাক কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী সেজে ডাকাতির পর একইভাবে একটি কেবল কারখানায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা এসময় কারখানার নগদ টাকাসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল লুটে নেয়।শনিবার ভোর রাতে সাভারের হেমায়েতপুরের নিশিপাড়া এলাকায় খাজা ক্যাবল কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতের হামলায় পাঁচ জন আহত হয়েছে।আহতরা হলেন, কারখানা পরিচালক রেজোয়ানুর রহমান, শামীম, হাসান, নাজমুল ও নজরুল।কারখানার আহত নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, হেমায়েতপুরে খাজা কেবল কারখানার নিরাপত্তা কর্মী রুমানের কাছে শনিবার রাতে তার দুই বন্ধু বেড়াতে আসে। পরে ভোর ৪টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রুমান ও তার দুই বন্ধুসহ আরও ১৫-১৭ জনের এক দল ডাকাত একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে কারখানার ভেতরে ঢোকে। পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাকাতদলের সদস্যরা কারখানার পরিচালক ও ৩ নিরাপত্তা কর্মীসহ বাবুর্চিকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা তাদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ৪৫ লাখ টাকার কেবল ও কেবল তৈরির কাঁচামাল কাভার্ড ভ্যানে করে নিয়ে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে কারখানায় কর্মরত অন্য শ্রমিকরা এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এর আগে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় নিরাপত্তাকর্মীর চাকুরি নিয়ে একটি পোশাক কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।/জেবি/টিএন/
ডিবি পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ২০:১৫
গোপালগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হরিদাস মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।এ ঘটনায় পুলিশ ওমর মোল্লা (৬০) ও কুটি মিয়া (৫৫)নামে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান,ওমর মোল্লার ছেলে আহাদ মোল্লা (২৮) অবৈধভাবে কলকাতা শহরের বড়বাজারে চটের ব্যবসা করতেন। সেখানে এক সন্তানের জননী বিধবা ছুটকি ওরফে রিয়ার (২৫) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চার মাস আগে সন্তানকে কলকাতায় রেখে আহাদের সঙ্গে ছুটকি গোপীনাথপুর চলে আসেন। তিনি হালিমা নাম নিয়ে আহাদকে বিয়ে করেন।চারদিন আগে ছুটকির এক স্বজন তাকে ভারত ফিরিয়ে নিতে গোপীনাথপুর গ্রামে আসেন। তিনি ওই গ্রামের কুটি মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই গ্রামের শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া ও আলীম শরীফের নেতৃত্বে মুখোশ পরা আরও দুই থেকে তিন ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে কুটি মিয়ার বাড়ি থেকে জোর করে ওই ভারতীয় নাগরিককে তুলে নিয়ে যায়।এ ঘটনার পর থেকে ছুটকি,তার স্বামী আহাদ ও আব্দুল্লাহ গা ঢাকা দেন।আহাদের পিতা ওমর মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৪ মাস আগে ছুটকিকে কলকাতা থেকে বাড়িতে এনে আহাদ তাকে বিয়ে করে। চারদিন আগে ছুটকির এক স্বজন তাকে খুঁজতে  আমাদের গ্রামে আসেন। তিনি স্থানীয় একটি পক্ষকে টাকা দিয়ে তাদের সহায়তায় ছুটকিকে ভারতে নিয়ে যেতে চান। এ নিয়ে গ্রামে দলাদলি সৃষ্টি হয়। একে কেন্দ্র করে ডিবি পরিচয়ে ওই ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করা হয়।কুটি  মিয়া জানান, ওই ভারতীয় নাগরিক তার বাড়িতে আশ্রিত ছিল। শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি জুয়েল ও আলীমকে চিনতে পারেন।তবে কেউ ওই ভারতীয় নাগরিকের নাম জানাতে পারেন নি।এএসআই হরিদাস মজুমদার জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবদের জন্য ওমর ও কুটি মিয়াকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। অপহরনকারী জুয়েল, আলীমসহ অন্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।/আরএ/এসএস/
বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:০৪
যশোরের বেনাপোল বন্দর থানার অন্তর্গত পুটখালী সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) সদস্যরা। তার নাম পরাণ চক্রবর্তী (৬৫)।রবিবার ভোরের দিকে ভারতের সীমান্তবর্তী বেনাপোলের পুটখালীর চরের মাঠ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক ব্যক্তি ভারতের বারাসাত থানার মধ্যম গ্রামের বাসিন্দা।খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পুটখালী ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার ফরিদ উদ্দিন জানান, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢোকার সময় তাকে আটক করা হয়। সকালে পোর্ট থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ জানান, আটককৃতের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সাড়ে ১২ টার দিকে তাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।/জেবি/টিএন/
এবার তিন ইস্যুতে অডিট মোবাইল অপারেটরগুলোর
তথ্যপ্রযুক্তি
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০৮:২৪
আবারও দেশের সব মোবাইলফোন অপারেটরকে নিরীক্ষা (অডিট) করবে সরকার। এবার তিনটি ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে নিরীক্ষা কাজ চালানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই হিসেবে ফিনান্সিয়াল, টেকনিক্যাল ও কমপ্লায়েন্স—এই তিনটি ইস্যুতে নিরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। দুই-একদিনের মধ্যেই চিঠি দিয়ে অপারেটরগুলোকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে ৬ অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোন ও রবির নিরীক্ষা আগে হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বড় টেলিকম অপারেটর হিসেবে প্রথমে গ্রামীণফোন এবং রবির নিরীক্ষা আগে শুরু হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অবস্থানগত দিক থেকে রবিকে দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ দুটো অপারেটরের নিরীক্ষা শেষ হলে পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট অপারটরগুলোরও নিরীক্ষা হবে।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম. রায়হান আখতার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এবার ফিনান্সিয়াল, টেকনিক্যাল ও কমপ্লায়েন্স এই তিনটি বিষয়েকে প্রাধান্য দিয়ে নিরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, এটা করতেই হবে। আমাদের ওপর এটা নিয়ে একটা ‘অবলিগেশন’ আছে। তিনি আরও বলেন, সোমবার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলে মঙ্গলবার থেকেই অপারেটরগুলোকে চিঠি পাঠানো শুরু হবে। ফিনান্সিয়াল, টেকনিক্যাল ও কমপ্লায়েন্স—এই তিনটি বিষয়কে আমলে নেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অপারেটরটির আর্থিক সক্ষমতা (রাজস্ব, পরিচলন ব্যয়, মুনাফা, মার্কেট শেয়ার, গ্রাহক প্রতি আয়), কারিগরিভাবে কতটা সক্ষম (যা বলা হচ্ছে বা দাবি করা হচ্ছে তা আসলেই রয়েছে কিনা) এবং কমপ্লায়েন্স (অফিসের কর্ম পরিবেশ, শ্রমিক আইনের চর্চা, কর্মীর নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়)ঠিকমতো প্রতিপালন হয় কি না, সে সব দেখা হবে।জানা গেছে, এরই মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি অডিট ফার্ম (আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান) চূড়ান্ত করেছে। অডিট ফার্মগুলোকে প্রচলিত আইন, বিধি মেনে মোবাইল অপারেটরগুলোকে অডিট করতে বলা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিরীক্ষা কাজে নিয়োজিত অডিট ফার্মের পেমেন্ট বিটিআরসি পরিশোধ করবে। যদিও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিদ্ধান্ত ছিল, মোবাইফোন অপারেটররাই অডিট ফার্মের পেমেন্ট দেবে। তবে বিটিআরসির আপত্তির মুখে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পেমেন্ট অপারেটররা নয়, বিটিআরসিই পরিশোধ করবে।   প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মতো ২০১১ সালে গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংকের নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে বিটিআরসি। তবে সেই নিরীক্ষা নিয়ে আলোচনা, সমালোচনাও কম হয়নি সে সময়। অপারেটররা আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত অডিট ফার্মকে দিয়ে নিরীক্ষার দাবি জানিয়েছিল বারবার। যদিও সেই দাবি কানে তোলেনি বিটিআরসি। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি বাংলালিংকের নিরীক্ষা কাজের দায়িত্ব পায়। তবে দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিন পরে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নিরীক্ষা কাজ পরিচালনায় তাদের অপারগতার কথা জানায়।তবে গ্রামীণফোনের নিরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করে ফজল অ্যান্ড কোম্পানি। ওই বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৬ মাস সময় নিয়ে নিরীক্ষা কাজ শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর গ্রামীণফোনের কাছে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা দাবি করে চিঠি দেয় বিটিআরসি। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তখন গ্রামীণফোন দেশীয় ওই নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অপারেটরটিকে দেওয়া ওই টাকা দাবির চিঠির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন হাইকোর্ট।অন্যদিকে, অন্য একটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বরে হাইকোর্ট বিভাগ বিটিআরসির অডিট নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে রায় দেন। যদিও প্রথম থেকেই মোবাইল অপারেটরগুলো আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষার দাবি করেছিল।/এমএনএইচ/
ওয়েলকাম টিউনে কদর বাড়ছে দেশি গানের
তথ্যপ্রযুক্তি
১৯ জুলাই ২০১৫, ১৫:৫৩
মোবাইল ফোনের রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউন হিসেবে হিন্দি গান ব্যবহার বন্ধের পর দেশি বাংলা গানের কদর বাড়তে শুরু করেছে। মোবাইল ফোনের থার্ড পার্টি সলিউশন প্রোভাইডার বা কনটেন্ট প্রোভাইডাররা (সিপি) এরই মধ্যে খোঁজখবর করতে শুরু করেছে জনপ্রিয় বাংলা গানের। যোগাযোগ করছে বিভিন্ন অডিও হাউজে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে দেশীয় বাংলা গানের বাজার অন্তত ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউনে হিন্দি গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে জাতীয় সংগীতকেও মোবাইল ফোনের রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় গত ১ মে বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।মোবাইল ফোনের রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউনে হিন্দি ও উপমহাদেশের অন্য কোনও দেশের গান ব্যবহারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত জুন মাসে একটি রিট আবেদন করেন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এমআইবি) সভাপতি একেএম আরিফুর রহমান। আবেদন শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।উচ্চ আদালতের এ আদেশের ফলে সঙ্গীতাঙ্গনে বইছে দখিনা হাওয়া। শিল্পী, সুরকার, গীতিকবিরা তাদের সৃষ্টি নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। অডিও প্রযোজনা সংস্থাগুলো নতুন করে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন বলে জানালেন এমআইবির সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান একেএম আরিফুর রহমান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এটা আমাদের দীর্ঘ দিনের চাওয়া ছিল। তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে হিন্দি গানের এই আগ্রাসনের পেছনে আমাদের দেশের সিপি (কনটেন্ট প্রোভাইডার) নামধারী কিছু প্রতিষ্ঠান জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠান ৯০ শতাংশ হিন্দি গান বুস্ট করে আর বাংলা গান করে মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে দেশ থেকে হিন্দি গানের জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা চলে যাচ্ছে অন্য দেশে। উচ্চ আদালতের আদেশের ফলে এগুলো বন্ধ হবে। একেএম আরিফুর রহমান অভিযোগ করেন, মোবাইল ফোনে রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউন হিসেবে হিন্দি গানের প্রসার প্রসারে বেশি দায়ী মোবাইল অপারেটর এয়ারটেল, রবি ও বাংলালিংক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনও স্যাটেলাইট চ্যানেল ভারত দেখাবে না, কিন্তু তাদের হিন্দি গান এখানে আসবে, তা হতে দেওয়া হবে না। এ আদেশের ফলে ৫০ শতাংশ না হোক ৩০ শতাংশ বাংলাদেশি গানের বাজার 'কনটেন্ট মার্কেটে' বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে হিন্দি গান এনে রিংটোন বা ওয়েলকাম টিউন তৈরির কাজে জড়িত রয়েছে প্রায় ৭-১০টি প্রতিষ্ঠান। আদালতের এ আদেশের পরে প্রতিষ্ঠানগুলো অতি সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার। আপিলের করার পেছনে তাদের যুক্তি, এ খাতে তাদের বিপুল বিনিয়োগের কথা আদালতের সামনে তুলে ধরা। কিন্তু বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে অংশ নেওয়াদের মধ্যে অধিকাংশই আপিলের বিপক্ষে। তাদের যুক্তি, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এ নিয়ে চিন্তা না করে বরং দেশীয় বাংলা গানের প্রতি মনোযোগ দিতে। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা এখনও আপিলের পক্ষে রয়েছেন বলে ওই সূত্র জানায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সিপি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা যারা শুধুই বাংলাদেশি গান নিয়ে কাজ করি তাদের জন্য এটা একটা বিশাল প্রাপ্তি। খারাপ হোক, ভালো হোক আমরা বাংলাদেশি গান নিয়েই থাকতে চাই। আমরা হিন্দি গানের পক্ষে নই। রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউন হিসেবে হিন্দি গানের বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, জায়গা কখনও শূন্য থাকে না। হিন্দি গানের ঘাটতি তৈরি হয়েছে, বাংলা গান দিয়ে আমরা পূরণ করতে পারব।এরই মধ্যে তাদের কাছে বাংলাদেশি জনপ্রিয় এবং নতুন গানের চাহিদা আসতে শুরু করেছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, ঈদের আগে মোবাইলে নতুন রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউন সেট করার একটি ট্রেন্ড চালু হয়েছে আমাদের দেশে। এবার হিন্দি গানের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা বেশ চাহিদা লক্ষ্য করছি বাংলাদেশি গানের। জানা গেছে, আমাদের দেশে মূল্য সংযোজিত সেবা বা ভ্যাসের মার্কেট প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকার। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মোট আয়ের ২ থেকে ৩ শতাংশ আসে এই ভ্যাস (কনটেন্ট- ওয়েলকাম টিউন, রিংটোন, ওয়াল পেপার ইত্যাদি। এর মধ্যে ইন্টারনেট অন্তর্ভুক্ত নয়) থেকে। ওয়েলকাম টিউন, রিংটোনের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে হিন্দি গানের উপস্থিতি থাকায় ভ্যাস মার্কেট বড় হলেও বাংলাদেশ বড় বাজারের সুবিধা নিতে পারছিল না। কারণ এসবে হিন্দি গানের আধিপত্য থাকায় হিন্দি গান আনার নাম করে টাকা সব চলে যাচ্ছিল দেশের বাইরে। এবার অন্তত এসব ঠেকানো যাবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।দেশে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অন মোবাইল কাজ করে বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরের টেকনিক্যাল পার্টনার বা সলিউশন প্রোভাইডার হিসেবে। যদিও আমাদের দেশীয় কনটেন্ট প্রোভাইডারগুলোর অভিযোগ অন মোবাইল গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। নিজেরা ভারত  থেকে কনটেন্ট না আনলেও তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। যদিও বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেননি প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিজিওনাল বিজনেস ম্যানেজার রাশেদুল করিম। তিনি বলেন, আমরা কেবলই সেবা দেই। সেবার ধরন বোঝানোর জন্য তিনি বলেন, আমরা দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরকে রিংটোন এবং ওয়েলকাম টিউন তৈরি করে দেই। মোবাইল রেডিও সার্ভিসও প্রোভাইড করি। ধরা যাক, এটি প্রতিষ্ঠান আমাদের গান এনে দিল। অন মোবাইল সেটিকে রিং টোনে রূপান্তর করা, ওয়েলকাম টিউন তৈরি করা এবং সেগুলো অপারেটরের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে ৮ থেকে ১০টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো সিপি হিসেবে ভারত থেকে হিন্দি গান, ভারতীয় চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের ছবি-সহ অন্যান্য কনটেন্ট এনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে থাকে। রিং টোন এবং ওয়েলকাম টিউনে হিন্দি গানের বিপুল চাহিদা থাকায় এসব কোম্পানি একের পর এক বাড়ছেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, হিন্দি গান আনার নাম করে এসব প্রতিষ্ঠান আদতে আমাদের দেশ থেকে টাকা নিয়ে যায়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কারণে এখন দেশের টাকা দেশেই থাকবে। /এইচএএইচ/এফএ/
যশোরে অস্ত্রসহ দুই সন্ত্রাসী আটক
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:১২
যশোরে দুটি পিস্তল, ছুরি ও গুলিসহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার ভোরে ডিবি পুলিশের একটি দল শহরের বেজপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে।আটককৃতরা হলেন, ইয়াসিন আরাফাত (২৫) ও আমজাদ হোসেন (২৫) ওরফে আকাশ।যশোর ডিবি পুলিশের ওসি আলী আহমেদ হাশেমী জানান, তাদের কাছে খবর ছিল সন্ত্রাসী ইয়াসিন ও আকাশ নাশকতার উদ্দেশ্যে অস্ত্র ও গুলিসহ বেজপাড়া কবরস্থানের পাশে জনৈক পচা মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছে। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে সেখানে ডিবি পুলিশের অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে আটক করে।পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পচা মিয়ার বাড়ি সানশেড থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগের মধ্যে একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি ভারতীয় পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, চার রাউন্ড গুলি, চারটি ছুরি ও ৬টি মোবাইলফোন সেট উদ্ধার করা হয়।ওসি আরও জানান, ধৃত দুজন যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ইয়াসিনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় হত্যা, অস্ত্র, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা রয়েছে।/আরএ/টিএন/
দেশে তৈরি ‘ওকে’ মোবাইল যাচ্ছে বিশ্ববাজারে
তথ্যপ্রযুক্তি
১৩ জুন ২০১৫, ০০:৫৩
দেশে তৈরি ‘ওকে’ মোবাইল বাংলাদেশের বাজার মাতিয়ে পা দিতে যাচ্ছে বিশ্ববাজারে। রফতানি চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেছে, প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাপানে রফতানি শুরু হবে এই মোবাইলফোন সেট। প্রথমদিকে যাবে মোবাইলের যন্ত্রাংশ। এরমধ্যে রয়েছে ব্লু-টুথ ওয়্যারলেস হেডসেট, ব্ল-টুথ হেডফোন, কার চার্জার, ইউএসবি ক্যাবল, ব্যাটারিসহ অনেক কিছু। পরবর্তী সময়ে আফ্রিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকোসহ দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে এই মোবাইলসেটগুলো রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে।এদিকে রমজান মাসে নতুন ১০টি নতুন মডেলের ‘ওকে’ মোবাইলসেট বাজারে আসছে। ঈদকে সামনে রেখে ১৫ জুন বাজারে ছাড়া হবে ২ হাজার ২৫০ টাকা (ডিলার মূল্য) দামের একটি সেট। ছাড়া হবে কমদামের মধ্যে স্মার্টফোনও।গত বছরের জুলাই মাসে মোবাইলপ্রেমীদের হাতে কমদামে ভালো ফোন বিশেষ করে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে বাজারে আসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি মোবাইলফোন সেট 'ওকে মোবাইল।' উদ্বোধনের দিন একসঙ্গে ৫টি মডেলের মো‌বাইল সেট বাজারে ছাড়ে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ৩টি ছিল স্মার্টফোন ও ২টি ছিল ফিচার ফোন।
ঝিনাইদহে জামায়াতের ৬ নেতাকর্মী আটক
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:২৩
ঝিনাইদহে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয় জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত এই অভিযান চলে।অভিযানে শৈলকুপা উপজেলা থেকে ৪ জন, হরিণাকুণ্ডু থেকে ১ জন ও কোটচাঁদপুর থেকে আরেকজনকে আটক করা হয়।ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আজবাহার আলী শেখ জানান, আটককৃত জামায়াত কর্মীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।অভিযানে আটককৃতরা হলেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলার কাঁচেরকোল গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে লাল মিয়া (৩০), দিঘলিয়া গ্রামের জহুরুর বিশ্বাস (৪৮) একই গ্রামের খলিলুর রহমান (৬০) ও আগুনিয়াপাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে মুন্তাজ হোসেন (৩৫), হরিণাকুন্ডু উপজেলার শিংগা গ্রামের আরেক আলী (৪৫) এবং কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মুসা করিম (৩৫)।/এনএস/টিএন/
রাজশাহীতে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ১০:০৫
মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান চলাচলের প্রতিবাদে রাজশাহী জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে। রবিবার সকাল থেকে চলা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।রাজশাহী জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব চৌধুরী জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীর মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।শনিবার বিকালে নগরীর বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।/এনএস/এএইচ/
নিখোঁজ শিশুর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ২১:৪৫
বগুড়ায় নিখোঁজের পাঁচদিন পর রিপন মিয়া (১২) নামে এক শিশুর ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে পুলিশ শহরতলির চাঁদপুর গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শেয়াল অথবা কুকুর শিশুটির হাত-পায়ের বিভিন্ন অংশ খেয়ে ফেলেছে।সদর থানার ওসি (তদন্ত)আসলাম আলী জানান,বগুড়া সদরের বারপুর মধ্যপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে রিপন অভাবের কারণে রঙমিস্ত্রির হেলপারের কাজ করত। গত ১০ নভেম্বর রাত ১০টার পর সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করে তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পাঁচদিন পর রবিবার বেলা ২টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চাঁদপুর গ্রামের একটি জঙ্গলে রিপনের ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এক কাঠুরে জঙ্গলে গাছ কাটতে গিয়ে লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।এলাকাবাসীর ধারণা,নিখোঁজের রাতে শিশুটিকে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।আসলাম আলী আরও জানান, শেয়াল বা কুকুর লাশের হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ খেয়ে ফেলেছে। এছাড়া লাশ পঁচে যাওয়ায় তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।/জেবি/এসএস/
আলাদা ভূমি কমিশনের দাবিতে আদিবাসীদের লংমার্চ শুরু
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ২৩:১৪
আলাদা ভূমি কমিশন গঠনের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেছে আদিবাসীরা। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নাচোল বাসস্ট্যান্ড থেকে দুই দিনব্যাপি এই লংমার্চ শুরু হয়।কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ন্যাপ ঐক্যের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। এসময় জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অনীল মারান্ডি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল রাজেয়ারসহ আদিবাসী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।সেখানে বক্তারা বলেন, সমতলের আদিবাসীরা ভূমিকেন্দ্রীক বিরোধের কারণে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে, ধর্ষণ করা হচ্ছে। ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে তাদের দেশ থেকেও বিতাড়িত করা হচ্ছে। জাল দলিল তৈরি করে আদিবাসীদের হাজার হাজার বিঘা জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। আলাদা ভূমি কমিশন গঠন ছাড়া এই সমস্যার সমাধান হবে না।বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে আদিবাসীরাও রক্ত দিয়েছে। তারাও মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কাজেই এই দেশে আদিবাসীদেরও সমান অধিকার ও গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে তাদের ইশতেহারে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়াসহ আলাদা ভূমি কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু দুইবারে সাত বছর ক্ষমতায় থাকলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি।নাচোল থেকে শুরু হয়ে লংমার্চটি আমনূরা-গোদাগাড়ী হয়ে রাজাবাড়িতে রাত্রীযাপন করবে। পরদিন সেখান থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে কাশিয়াডাঙ্গায় পথসভা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।এর আগে লংমার্চ সফল করতে সকাল ১০টা থেকে নাচোল ও আশপাশের জেলা থেকে আসা আদিবাসীরা নাচোল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমবেত হতে থাকে। পরে আদিবাসী নেতারা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ করে।লংমার্চ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।/জেবি/ এসএস/
বগুড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দুই জামায়াত নেতা গ্রেফতার
দেশ
১৬ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:০৬
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল গণি মণ্ডল ও উপজেলা জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন হেলালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। দুপচাঁচিয়া থানার ওসি নজরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গনি মণ্ডল দুপচাঁচিয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মৃত নয়া মিয়া মণ্ডলের ছেলে এবং ইসমাইল হোসেন হেলাল তালোড়া স্বর্গপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে।দুপচাঁচিয়া থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, জামায়াত নেতা গণি মণ্ডলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৩ মার্চ রাতে চাঁদে দেলোয়ার হোসাইন সাইদীকে দেখানোর অভিযোগে ও গত জানুয়ারি-মার্চে আন্দোলনের সময় মোট ১৫টি নাশকতা মামলা হয়।ওসি আরও জানান, উপজেলা জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ হেলালের বিরুদ্ধে ১১টি নাশকতার মামলা রয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্ট ছিল। এসব মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।বিকালে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।/আরএ/এএ/
ওয়ালটন ওয়ালপ্যাড প্রো বাজারে
তথ্যপ্রযুক্তি
০৭ মে ২০১৫, ২২:৩৩
ওয়ালটন এবার বাজারে আনলো উইন্ডোজ চালিত মাল্টি ফাংশনাল এক্সপার্ট ট্যাব ওয়ালপ্যাড প্রো। লেটেস্ট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ৮.১ চালিত এবং আপকামিং উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম আপডেট সুবিধা সম্বলিত এই ট্যাবের স্ক্রিন ৮.৯ ইঞ্চি। গত সোমবার থেকে ক্রেতারা বাজারে পাচ্ছেন এই ট্যাব।ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা জানান, এর হার্ডওয়্যারে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চগতির ইন্টেল ১.৩ গিগাহার্টজ ৩৭৩৫ কোয়াডকোর প্রসেসর। আছে ২ জিবি ডিডিআর ৩ র‌্যাম এবং ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স প্রসেসর। এর স্ক্রিনে ব্যবহার করা হয়েছে আইপিএস টেকনোলজি। প্রটেক্টর হিসেবে থাকছে করনিং গরিলা গ্লাস। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রায় সব সফটওয়্যারই ওয়ালপ্যাড প্রো‘তে সাপোর্ট করবে।ওয়ালপ্যাড প্রো‘তে রয়েছে মাইক্রোচিপ প্রযুক্তি সম্বলিত ৬৪ জিবির বিশাল ডাটা স্টোরেজ স্পেস। যা গতানুগতিক ম্যাগনেটিক হার্ডডিস্কের তুলনায় অর্ধেক সময়ে অ্যাপলিকেশন রান করতে সক্ষম। সেইসঙ্গে এক্সটারনাল স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে ১২৮ জিবি পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড। রয়েছে ৫ মেগা পিক্সেলের ব্যাক এবং ২ মেগা পিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। ভিডিও কল, ভিডিও চ্যাট এবং তা থেকে ছবি সংগ্রহের সুবিধাতো থাকছেই। ওয়ালপ্যাড প্রো মাইক্রোসফট ঘরানার ট্যাব বলে এতে থাকছে আরও কিছু বিশেষ সুবিধা। ব্যবহারকারী পাবেন এক বছরের ফ্রি অফিস ৩৬৫ সুইট। যাতে সহজেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্টসহ বিভিন্ন অফিস সফটওয়্যার এবং ক্লাউড শেয়ারিং সুবিধা মিলবে। এছাড়া মাইক্রোসফট ওয়ান ড্রাইভে পাওয়া যাবে ১ টিবি স্টোরেজ। যেখানে ক্লাউড কম্পিউটিং এর পূর্ণ সুবিধা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল স্টোর করার পাশাপাশি সরাসরি পিসি বা ল্যাপটপ থেকেও কনটেন্ট শেয়ার করা যাবে। আছে দ্রুতগতির ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ কানেটিভিটি। থাকছে ইউএসবি ২.০ এবং মাইক্রো এইচডিএমআই পোর্ট। ওটিজি‘র সুবিধা থাকায় যেকোনও ইউএসবি পেরিফেরাল এবং ডিভাইস খুব সহজেই এর সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। সেন্সর হিসেবে রয়েছে এক্সেলেরোমিটার ৩ থ্রিডি এবং সমন্বিত (ইন্টিগ্রেটেড) জিপিএস সিস্টেম। এক্সটারনাল পাওয়ার দিয়ে পোর্টেবল এইচডিডি ড্রাইভ ব্যবহার এবং অপটিক্যাল ড্রাইভ ও ইউএসবি ইথারনেট ব্যবহার সম্ভব। যুক্ত করা যাবে যেকোনও ইউএসবি মডেম।ডাটা ব্যবহারের জন্য ওয়ালপ্যাড প্রো‘তে আছে থ্রিজি সিমযুক্ত করার স্লট। এটি দিয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ ইন্টারনেটের যাবতীয় কাজ করা সম্ভব। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ আপগ্রেড সুবিধা থাকায় ফ্রি প্যাচ আপটেড পাওয়া যাবে সবসময়। ব্যবহারকারী আপ টু ডেট থাকতে পারবেন সার্বক্ষণিক। এর বিশেষ টাইপ কভার দেবে কি বোর্ড সুবিধা। সেইসঙ্গে তা বাইরের চাপ, দাগ এবং ময়লা থেকে ট্যাবটিকে রক্ষা করবে। ব্লুটুথ থাকায় টাইপকভার দিয়ে ট্যাবটিকে ল্যাপটপ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।এটি মাইক্রোসফট অ্যাপস স্টোরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় উইন্ডোজ ঘরানার সব অ্যাপস সহজেই ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এসব সুবিধা দীর্ঘ সময় উপভোগের জন্য ওয়ালপ্যাড প্রো‘তে যুক্ত হয়েছে ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। প্যাডটির ওজন মাত্র ৪৬০ গ্রাম। এর দৈর্ঘ ২৩২.৮ মিলিমিটার, চওড়া ১৪৯.৫ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব মাত্র ৮.৫ মিলিমিটার।ওয়ালপ্যাড প্রো‘র দাম মাত্র ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা।/এএইচ/
স্বল্পমূল্যের থ্রিজি স্মার্টফোন বাজারে
তথ্যপ্রযুক্তি
০২ ডিসেম্বর ২০১৪, ১৫:৩৩
দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট কোম্পানি ম্যাপল মোবাইল বাজারে এনেছে প্রাইম-৩ মডেলের স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন। ফোনটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক এর ব্যাটারি এবং প্রয়োজনীয় সব সেন্সরের উপস্থিতি।৪ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লের প্রাইম-৩ ফোনটিতে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ জেলিবিন।১.২ গিগাহার্টজ ডুয়েলকোর প্রসেসরের এই ফোনে রয়েছে ৫১২ মেগাবাইটের র‌্যাম ও মিডিয়াটেক চিপসেট, ৫ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা ৪ গিগা মেমোরি ও ৩২ গিগা পর্যন্ত মাইক্রো-এসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা। এর দাম ৫ হাজার ৪৯০ টাকা।/এইচএএইচ/
২৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী
দেশ
১৫ নভেম্বর ২০১৫, ২১:০২
অপহরণ মামলার আসামিরা হলেন, মো. আশ্রাব আলী, শিল্পী বেগম,সোহরাব মল্লিক,মো. মজিদ শিকদার ও আকলিমা বেগম। এদের মধ্যে শিল্পী বেগম ও মজিদ শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়।মামলা-সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ফারজানা আক্তারকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের সোহরাব মল্লিকের ছেলে রাজু মল্লিক (২৩)। ফারজানার প্রতিবেশী শিল্পী বেগমের (২৭) মাধ্যমে রাজু তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতেন। ২২ অক্টোবর শিল্পী বেগমের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে ফারজানা আর ফেরেনি। প্রত্যক্ষদর্শী-সূত্রে জানা যায়, রাজু ও তার সহযোগীরা ফারজানাকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।ফারজানার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে তার পরিবার জানায়। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তিনি ঢাকায় একটি প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ফিরেই ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে তৎপর হবেন।/এইচকে/এসএস/
বরিশাল বুলস্’র আনন্দ শোভাযাত্রা
দেশ
২০ নভেম্বর ২০১৫, ০২:৫৮
বিপিএল বরিশাল বুলস্’র মালিক ও খেলোয়ারদের স্বাগত জানিয়ে বরিশালে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বরিশাল বুলস্’র বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে শোভাযাত্রাটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। নগরীর জিলা স্কুল থেকে শুরু হওয়ায় শোভাযাত্রাটিতে কণ্ঠশিল্পী আসিফের গাওয়া থিম সং ‘বরিশাল বুলস্ সামাল সামাল’ সুরে ছিল মুখরিত। বরিশাল বুলস্’র খেলোয়াড় শাহরিয়ার নাফিস ও সোহাগ গাজী উপস্থিত থাকায় র‌্যালিটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বরিশাল বুলস্’র বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। পরে দুপুর দেড়টায় অশ্বিনী কুমার হলের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশের অয়োজন করা হয়। এখানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বরিশাল বুলসের স্বত্ত্বাধিকারী এমএ আউয়াল চৌধুরী ভুলু বরিশালবাসীর উপস্থিতি দেখে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এবার বিপিএলে বরিশাল বুলস্ চ্যাম্পিয়ন হবে। খেলা চলাকালে বরিশালবাসীর সমর্থণ কামনা করেন ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস এবং সোহাগ গাজী। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল বুলসের বিভাগীয় আহবায়ক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। সমাবেশে ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।এর আগে র‌্যালিতে অংশ নিতে সকাল থেকে হাজার-হাজার ক্রিকেটপ্রেমী নগরীর জিলা স্কুল মোড় এলাকায় জড়ো হয়। তাদের উল্লাস ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরে হেলিকপ্টারে খেলোয়াড়রা বরিশালে আসলে তাদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। র‌্যালি ও সমাবেশ শেষে দুপুর ২টার দিকে আবার খেলোয়াড়রা হেলিকপ্টারে করেই ফিরে যান।/এএ/
ডেলের আল্ট্রাবুক
তথ্যপ্রযুক্তি
২৮ নভেম্বর ২০১৪, ১৮:৩৪
গ্লোবাল ব্র্যান্ড নিয়ে এলো ডেলের ইন্সপাইরন ৩১৪৮ মডেলের একের ভিতরে ২ ডিভাইসের আল্ট্রাবুক।আল্ট্রাবুকটির ১১.৬ ইঞ্চির মাল্টি-টাচ স্ক্রিন ফিচারের ডিসপ্লেটিকে ৩৬০-ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরিয়ে ল্যাপটপ মোড, স্ট্যান্ড মোড,টেন্ট বা তাঁবু মোড এবং ট্যাবলেট পিসি মোড এই ৪টি মোডে ব্যবহার করা যায়।আল্ট্রাবুকটিতে আরও রয়েছে ১.৭ গিগা গতির চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টেল কোরআই-৩ প্রসেসর, ৪ জিবি র‌্যাম, ৫০০জিবি হার্ডডিস্ক, এইচডি ওয়েবক্যাম।ইন্টারনেট বা অন্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করতে রয়েছে ওয়্যারলেস ল্যান, ব্লুটুথ ৪.০, ইউএসবি পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া উপভোগ করতে রয়েছে বিল্ট-ইন ইন্টেল গ্রাফিক্স, এইচডি অডিও, স্টেরিও স্পিকার,মাইক্রোফোন, মেমোরি কার্ড রিডার। আল্ট্রাবুকটির দাম ৫৫ হাজার টাকা। ফোন : ০১৯৭৭৪৭৬৪৪৬, ৯১৮৩২৯১।/এইচএএইচ/
শেবামেক-এ ছাত্রলীগের ভাংচুর, শিক্ষক লাঞ্ছিত
দেশ
২২ নভেম্বর ২০১৫, ২০:৪৩
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবামেক) মেডিসিন ক্লাবের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় এক শিক্ষকসহ ক্লাবের দুই নারী সদস্য লাঞ্ছনার শিকার হন।রবিবার দুপুর দুইটায় মেডিসিন ক্লাবের ১৮তম সেন্ট্রাল কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ওই হাসপাতালের মেডিসিন ক্লাবের কার্যালয় পরিদর্শন শেষে কলেজ অডিটরিয়ামে যান। এরই মধ্যে পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগের ৪২তম ব্যাচের শ্রাবণ, ৪৩তম ব্যাচের রাজু, ৪৪তম ব্যাচের হিমেল, ক্লাবের বহিস্কৃত সদস্য ও ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র সায়েম, রাজুসহ কয়েকজন ক্লাবে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়।তাদের বাধা দিতে গেলে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ও মেডিসিন ক্লাবের সাবেক সদস্য আকবর হোসেন লাঞ্ছিত হন। মারধরের শিকার হন ৩৭তম ব্যাচের রিয়াজ, ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র আনোয়ার, কৌশিক ও সাদিক। এ সময় ক্লাবে থাকা ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুবাইয়া ও অপর এক ছাত্রী লাঞ্ছিত হন।পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা ক্লাবের প্রবেশ পথের গেটে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে সটকে পড়ে।কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়।ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজিদুল করিম জানান, মেডিসিন ক্লাবের বহিস্কৃত সদস্যসহ বেশ কয়েকজন যুবক ওই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।কলেজ অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা জানান, বিষয়টি ভালোভাবে জেনে ব্যবস্থা নেবেন।/আরএ/এসএস/
ভোলার উপকূলে জলচর পাখি গণনা ও গবেষণা শুরু
দেশ
২৩ নভেম্বর ২০১৫, ১৭:৪৭
জলচর পাখি গণনা, পাখির শীতকালীন গুরুত্বপূর্ন আবাসস্থল চিহ্নিতকরণ শুরু হয়েছে। উপকূল অঞ্চলে বিপন্ন জলচর পাখি সংরক্ষণের জন্য বন্যপ্রাণী গবেষক ও পাখি রিংগার সামিউল মোহসেনিনের নেতৃত্বে ‘নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট’ (নেকম) এবং ‘বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের’ (বিবিসি) তিন সদস্যের একটি দল ভোলার উপকূলে কাজ শুরু করেছেন।সোমবার সকালে তিনজনের একটি দল বিশ্বব্যাপী কী পরিমাণ বিপন্ন পাখি উপকূলে আসে তা পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার কাজ শুরু করেছেন। মাছধরার একটি ট্রলারে করে ভোলার খেয়াঘাট থেকে তারা যাত্রা শুরু করেন। বাংলাদেশ বন বিভাগের এসআরসিডব্লিউপি (Strengthening Regional Co-operation for Wildlife) প্রজেক্টের অধীনে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় পাখি সমৃদ্ধ ২৫-৩০টি চরে ৭ দিনব্যাপী চলবে এ কার্যক্রম। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষা ভোলা, মনপুরা, হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, দমার চর, চর শাহজালাল, সোনার চর ও ঢাল চরসহ বেশ কিছু চরে চলবে এ কার্যক্রম।গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা সামিউল মোহসেনিন নিয়মিত পাখি পর্যবেক্ষণ করছেন দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে। পাখির খোঁজে ঘুরেছেন ভারত, ভুটান, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা। তিনি জানান, পরিবেশ থেকে কোনও একটি পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেলে তার ক্ষতি সুদূরপ্রসারী। আর কোনও পাখি বা প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেলে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কোনও সুযোগ থাকে না। তাই জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তারা এ গবেষণার কাজ শুরু করেছেন।গবেষক দলে থাকা অপর সদস্য বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও বন্যপ্রাণী গবেষক ওমর শাহাদাত জানান, পাখি পর্যবেক্ষকদের মতে বিশ্বের মহাবিপন্ন পাখি চামচঠুঁট বাটান এবং সংকটাপন্ন পাখি দেশি গাঙচষা ছাড়াও অনেক প্রজাতির হাঁস ও সৈকত পাখি শীতে ভোলার চরগুলিতে এসে বসবাস করে। তাই বিশ্বের বহু বিপন্ন পাখির টিকে থাকার জন্য এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  এছাড়াও গবেষক দলটিতে রয়েছে নেচার ফটোগ্রাফার আল মারুফ রাছেল। ঢাকা থেকে ২২ নভেম্বর যাত্রা শুরু করা এ দলটি উপকূলের জলচর পাখি গণনা ও পর্যবেক্ষণ কাজ শেষে ২৯ ডিসেম্বর আবার ঢাকায় ফিরবেন।/জেবি/এএ/
হজে হতাহতের ঘটনা তদন্তের দাবি দেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর
রাজনীতি
০৪ অক্টোবর ২০১৫, ১৩:১৪
সৌদি আরবে হজের সময় ক্রেন দুর্ঘটনা এবং মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো। তদন্তে এর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন বলেও মনে করেন এসব দলের নেতারা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও এ ঘটনার তদন্ত দাবি করা উচিত বলে মনে করছেন এ দলগুলোর নেতারা।জানা গেছে,সৌদি আরবের মক্কায় নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ক্রেন ভেঙে পড়ায় অন্তত ১০৭ জন হাজির মৃত্যু এবং হজের তৃতীয় দিনে মিনায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজির প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৮০৫ ছাড়িয়েছে। হতাহতের ঘটনায় সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা দায়ী কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কয়েকটি দেশ। ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় ইন্দোনেশিয়া। জাতিসংঘের ‍অধীনে তদন্ত দাবি করেছে ইরান।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এসব দুর্ঘটনায় ব্যবস্থাপনার অবহেলা না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। বিনা তদন্তে ছেড়ে দিলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও তদন্তের দাবি করা উচিত।ইউনুছ আহমাদ বলেন,আমাদের দেশের হজ ব্যবস্থাপনাও আরও সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন। বলা হচ্ছে হাজিরা নিখোঁজ, এখানে কেন নিখোঁজ হবেন হাজিরা। যারা গিয়েছেন তাদের নাম পরিচয় সব সরকারের কাছে আছে। এ বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য প্রকাশ করা উচিত।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সৌদি সরকারে কাজে তদন্তের দাবি জানানো উচিত বলে মনে করছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। ঘটনার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানে নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত । কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করলে আসল কারণ বের হয়ে আসবে। নিহত হওয়ার প্রকৃত সংখ্যাও বের হয়ে আসবে।খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। তদন্ত করে দ্রুত হতাহতের সঠিক সংখ্যাও প্রকাশ করতে হবে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের যেসব হাজি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তাদের সঠিক অবস্থা জানানোর ব্যবস্থাও দরকার।/সিএ/এএইচ/
শনিবার জমিয়তের কাউন্সিল: আসছে বড় পরিবর্তন!
রাজনীতি
০৬ নভেম্বর ২০১৫, ১৯:৩৯
বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের। শনিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দলটির কাউন্সিল। আর এই ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে দলটির সভাপতি ও মহাসচিব পদসহ বেশ কিছু পদে পরিবর্তন আসতে পারে। এরই মধ্যে দলের সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহাসচিব পদ নিয়ে লবিং শুরু হয়েছে।  দলের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে ২৪ বছর ধরে থাকা মাওলানা মুফতি ওয়াক্কাছের মহাসচিব পদে পরিবর্তন হবে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সময়ের এই ধর্মমন্ত্রী ১৯৯১ সালে জমিয়তের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশাপাশি বর্তমান নির্বাহী সভাপতি আরজাবাদ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোস্তফা আজাদও পদান্তরিত হতে পারেন।জানতে চাইলে মাওলানা মুফতি ওয়াক্কাছ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ নির্বাহী পরিষদের বৈঠক হবে। এরপরেই সিদ্ধান্ত আসবে। পরে শনিবার কাউন্সিলের মাধ্যমে জানানো হবে।মহাসচিব পদ থেকে সরে পড়তে কোনও চাপ আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মুফতি ওয়াক্কাছ বলেন, না, এমন চাপ নেই। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তাই মেনে নেব।জমিয়তের একাধিক শীর্ষ দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এক বছরের বেশি সময় ধরে জমিয়তের মহাসচিব পদ নিয়ে জটিলতা চলছে। এ নিয়ে তিনটি গ্রুপে লবিংও চলছিল। একটি গ্রুপের চেষ্টা ছিল, বর্তমান সহ-সভাপতি ও প্রভাবশালী নেতা, হেফাজতের ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর জামাই মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়াকে মহাসচিব করার। মাওলানা বাহাউদ্দীন আরজাবাদ মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুদ্দিন কাসেমীর ছেলে। বয়স বিবেচনায় এই গ্রুপের লবিং শেষ পর্যন্ত মাঠে টেকেনি। পরবর্তী সময়ে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী নিজেই মহাসচিব হতে নিজের পছন্দ অনুসারীদের জানিয়ে দেন।অন্য একটি গ্রুপ হচ্ছে জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনূর পাশা চৌধুরীর পক্ষে। সিলেট জমিয়তের একটি বড় অংশ তাকে মহাসচিব হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহীনূর পাশা চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মহাসচিব বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাউন্সিলেই হবে। আপনার মহাসচিব হওয়ার ইচ্ছা আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন নির্বাহী পরিষদের  বৈঠক চলছে। পরে কথা বলি।তৃতীয় গ্রুপটি এখনও মাওলানা ওয়াক্কাছকেই মহাসচিব হিসেবে দেখতে মরিয়া। জমিয়তের কয়েকজন নেতা জানান, মাওলানা ওয়াক্কাছ রাজনৈতিক-প্রাজ্ঞ মানুষ। তিনি নিজে মন্ত্রী ছিলেন। কয়েকবার জেল খেটেছেন। এখন দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে তাকে সরিয়ে দিলে পরীক্ষিত নতুন নেতা পাওয়া কঠিন।সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধার পর রাজধানীর বারিধারা মাদ্রাসায় মজলিসে আমেলার (নির্বাহী পরিষদ) বৈঠক শুরু হবে। ওই বৈঠকেই মহাসচিব পদটি চূড়ান্ত করা হবে। পাশাপাশি নির্বাহী সভাপতি হিসেবেও নতুন কাউকে দেখা যেতে পারে। এ নিয়েও আলোচনা হতে পারে।শুক্রবার বিকালে বারিধারা মাদ্রাসা থেকে মোবাইলে একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, মূলত সংকট দুটি পদ নিয়ে। একটি মহাসচিব ও দ্বিতীয়টি নির্বাহী সভাপতি। হতে পারে মহাসচিব হিসেবে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী ও নির্বাহী সভাপতি হিসেবে মুফতি ওয়াক্কাছই চূড়ান্ত হতে পারেন। তবে মহাসচিব পদ নিয়ে একমত হলেও বর্তমান নির্বাহী সভাপতি মোস্তাফা আজাদকে সরিয়ে নূর হোসাইন কাসেমীকে এ পদে রাখা হতে পারে।সেক্ষেত্রে মোস্তফা আজাদকে সহ-সভাপতি করা হতে পারে।সূত্র মতে, জমিয়তে ইসলামের সভাপতি পদে কোনও পরিবর্তন আসছে না। বর্তমান সভাপতি আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানীর খলিফা শায়খ আবদুল মোমিন এ দায়িত্বে আছেন। সিনিয়র আলেম ও মাদানীর খলিফা হওয়ায় সম্মাজনকভাবে তাকে এ পদে রাখা হয়েছে। যদিও প্রশাসনিক দায়িত্ব সবটুকু মহাসচিব ও নির্বাহী সভাপতিই পালন করে থাকেন।/এমএনএইচ/
ফেসবুক মেসেজের ‘সিন’ অপশন থেকে মুক্ত করুন নিজেকে
তথ্যপ্রযুক্তি, ট্রিকস
২৮ এপ্রিল ২০১৫, ১৪:২৪
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিদিন কোটি কোটি ক্ষুদ্র বার্তা বিনিময় হয়। দেখা গেছে এই সব ধারাবাহিক বার্তা বিনিময়ের শুরু কিংবা শেষ বলে কিছু নেই। বরং দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর ধরে খণ্ড খণ্ডভাবে চলতে থাকে অনির্দিষ্টকাল থেকে শুরু হওয়া কথোপকথনগুলো।এতে যারা নিয়মিত ফেসবুক ব্যাবহার করেন তাদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের অজান্তে একটি স্নায়বিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার স্বীকার হচ্ছেন। কেননা যখনি কোনও বার্তা ফেসবুকের ইনবক্সে ‘সিন’ দেখানো হয়, আমাদের মধ্যে অনেকেই, অপর পক্ষ হতে সঙ্গে সঙ্গে পঠিত বার্তার উত্তর আশা করেন। কিন্তু অধিকাংশ সময়ে আশাহত হওয়ার ফলে ব্যবহারকারীর অবচেতন মনে একটি ধারাবাহিক ক্ষতিকর প্রভাবের সৃষ্টি হয়।তাই আপনি যদি কোন উটকো ঝামেলা এড়িয়ে যেতে চান অথবা ব্যস্ততার কারণে আপনার প্রিয়জনকে সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দিতে না পারেন এবং সকল ধরনের ভুল বোঝাবুঝি থেকে মুক্ত থাকতে চান; তবে খুব সহজেই নিম্নোক্ত উপায়ের যে কোনও একটির মাধ্যমে ফেসবুকের ‘সিন’ অপশন থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবেন।  গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের জন্যযারা ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপে গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেন, তারা ‘ফেসবুক আনসিন’ নামক এক্সটেনশানটি ডাউনলোড করে নিন এই লিঙ্ক থেকে http://goo.gl/4ogbzgঅন্যান্য ব্রাউজারের জন্যগুগল ক্রোম ব্যতীত অন্য ব্রাউজার ব্যবহারকারীগণ ডাউনলোড করে নিন ‘এডব্লক প্লাস’ নামক এক্সটেনশানটি এই লিঙ্ক থেকে https://adblockplus.org/en/ । ইন্সটল করা হয়ে গেলে এক্সটেনশানের কাস্টম ফিল্টারে অ্যাড করে দিন নিন্মোক্ত  ইউআরএল‘facebook.com/ajax/mercury/change_read_status.php$xmlhttprequest’মোবাইলের জন্য যা করতে হবেঅ্যানড্রয়েড ও আইফোন ব্যবহারকারীরা প্লে স্টোর অথবা আইটিউনস থেকে ডাউনলোড করে নিন ‘আনরিড’ নামক এই অ্যাপ্লিকেশন। তবে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারের একমাত্র সীমাবদ্ধতা হল ফেসবুকে আসা বার্তার উত্তর দিতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমেই সেটা করতে হবে। এটার মাধ্যমে কোনও বার্তা শুধু পড়া কিন্তু পাঠানো যায় না।এই হল আপাত সমাধান যতদিন পর্যন্ত না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ইনবক্সের ‘সিন’ অপশনটি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ না নেয়। তবে ইতোমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ তার ম্যাসেঞ্জার থেকে নীল টিক চিহ্ন নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা নিয়েছে যেটি ফেসবুকের ‘সিন’ অপশনের মতই কাজ করে থাকে।/এইচএএইচ/
অনলাইনে নিরাপদ থাকার উপায়
তথ্যপ্রযুক্তি, ট্রিকস
১৯ নভেম্বর ২০১৪, ১৭:২২
পাসওয়ার্ড: দয়া করে abcd123 মার্কা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা বন্ধ করুন। এইগুলা বাচ্চারাও ভেঙে ফেলতে পারে। পাসওয়ার্ড এমন একটা দেন যেটা আপনি সহজে মনে করতে পারবেন, কিন্তু আর কেউ পারবে না। ক্যাপিটাল আর স্মল লেটার, সংখ্যা, চিহ্ন এগুলা মিলিয়ে পাসওয়ার্ড বানান। দরকার হলে পছন্দের গান দিয়ে বানান।ধরুন, আপনার প্রিয় গান হলো "আমি তো মরেই যাবো চলেই যাবো.."। এইটাকে ইংরেজিতে ami to morei jabo...হয় তাহলে এর প্রতি শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়ে বানালেন পাসওয়ার্ড। আন্দাজে কী সহজে কেউ এটা বের করতে পারবে? জটিল করতে মাঝে এটা সেটা ঢোকান, ক্যাপিটাল লেটার দেন।(দয়া করে পাসওয়ার্ড কাগজে লিখে টেবিলে লাগিয়ে রাখবেন না। মাথার মধ্যে রাখুন)।ই-মেইল/ফিশিং: ই-মেইলে পাঠানো কোনও লিংকে সহজে ক্লিক করবেন না। অ্যাটাচমেন্টও ভাইরাস স্ক্যানিং করে তবেই খুলবেন। বন্ধু মেইল করে যদি বলে এটা দেখো, তাহলেও দেখতে যাবেন না। কোনও সাইটে পাসওয়ার্ড দেওয়ার আগে খেয়াল করে নিবেন আসল সাইট কিনা, ব্রাউজারে আসল সাইটের নাম দেখাচ্ছে কি না।ফেইসবুকের টোপ: প্রচুর "ভদ্র" "সুশীল" লোকজন ফেসবুকে ধরা খেয়েছে এইভাবে, লোভে পড়ে কোনো রগরগে লিংকে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট হারিয়েছে। লোভ সামলান। আপনার বন্ধু কোনও চটকদার রগরগে খবর পোস্ট করলেই অভ্যাসবশত সেখানে ক্লিক করে বসবেন না। অ্যাকাউন্টও যাবে, মানসম্মানটাও।থাম্ব ড্রাইভ/ ফ্ল্যাশ ড্রাইভ: এগুলো ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম। অটোপ্লে/অটো-রান এগুলো ডিজেবল করে রাখুন। সব সময় অন্যের অচেনা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কম্পিউটারে ঢোকানোর আগে স্ক্যান করে নিন।সিস্টেম আপডেট: অ্যান্টি ভাইরাস তো বটেই, তার সঙ্গে অপারেটিং সিস্টেমের যে আপডেট বা প্যাচ আসবে, সেগুলাকে উপেক্ষা না করে নিয়মিত আপনার সিস্টেম আপডেট করুন।মোবাইল ফোন: দয়া করে মোবাইল ফোনে পিন লক চালু করেন। প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ এটা করে না, ফলে ছিনতাই/চুরি হলেই আপনার সবকিছু বাটপারের দখলে যাবে।লগ-আউট: পাবলিক কোনও মেশিনে বসে কোনও অ্যাকাউন্টে (ফেসবুক, ই-মেইল) লগ-ইন না করাই ভালো। আর যদি নিতান্তই বসতে হয়, তবে কাজ শেষে লগ আউট করে দিন অবশ্যই।সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: "আমি... ব্যাংক থেকে বলছি, আপনার পাসওয়ার্ডটা দিন। অামরা ওটা অাপগ্রেড করে দিব। তানাহলে অাপনি ওটা ব্যবহার করতে পারবেন না।' কখনও আপনাকে কেউ ফোন করে ব্যাংকের বা এরকম কোনও কোম্পানির কর্মকর্তা দাবি করলে বিশ্বাস করবেন না। বরং কল ব্যাক করে নিজের চেনা নম্বরে ডায়াল করে কথা বলুন। কারণ যে কেউ নিজেকে ব্যাংকের লোক বা ... কোম্পানির কর্মকর্তা দাবি করে প্রতারণা করতে পারে।সতর্কতার আসলে শেষ নেই, তবুও এই কয়েকটা পয়েন্টে সতর্ক থাকলে অনলাইনে নিরাপদ থাকা কিছুটা হলেও সম্ভব।-রাগিব হাসান/এইচএএইচ/
ভবিষ্যতের গুগল ফেসবুক হবে বাংলাদেশেই: জয়
তথ্যপ্রযুক্তি
১৮ অক্টোবর ২০১৫, ১২:০৭
ভবিষ্যতে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন বা ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাংলাদেশেই তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।রবিবার দেশের প্রথম সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।এদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তন থেকে তিনি কাওরানবাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক-১ উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে অবস্থিত দেশের প্রথম অ্যানিমেশন ল্যাবও উদ্বোধন করেন।এসময় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের একটি ফ্লোর স্টার্টআপদের জন্য রাখা হবে বলেও জয় ঘোষণা দেন এবং বলেন- তিনি নিজে স্টার্টআপ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে। তাই স্টার্টআপদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতের ব্যাঙ্গালোরে কম্পিউটার বিজ্ঞানের পড়াশোনা করেছন। সে সময় সবে বিশ্বের বড় বড় আইটি কোম্পানি আসতে শুরু করে। ওই একই সময়ে ভারতের নিজস্ব আইটি স্টার্টআপগুলো গড়ে ওঠে ব্যাঙ্গালোরে। ওই স্টার্টআপগুলোই পরে ব্যাঙ্গোলোরের চেহারায় পাল্টে দিয়েছে বলে তিনি জানান । নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তিনিও স্টার্টআপ হিসেবে শুরু করেছিলেন। প্রথম কোম্পানি খোলার পর তিনি ব্যর্থ হন। সেই ব্যর্থতাকে পুঁজি করে চেষ্টা চালিয়ে যান এবং সময় তিনিও সফল হন।১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন। শেখ রাসেল সম্পর্কে জনাব জয় বলেন, রাসেল মামা শৌখিন ছিলেন খুব। মামা তার সব খেলনা সাজিয়ে এবং গুছিয়ে রাখতেন। প্রায়ই আমি তার খেলনা নিয়ে নিতাম। তিনি আরও বলেন, আজ আমার ছোট মামার জন্মদিন। ১৯৭৫ সালে ছোট মামার বয়স ছিল ১০ বছর। আমার বয়স ছিল ৪ বছর। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তরুণ প্রজন্মকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাফল্য পাওয়ার চেষ্টায় উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে বলেন, গুগল, ফেসবুকসহ পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানিগুলো স্টার্টআপ হিসেবেই শুরু করেছিল। তিনি তরুণ প্রজন্মকে যেকোনও ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাফল্য পাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম-সহ আরও অনেকে।/এইচএএইচ/এসএম /এএইচ/
জমিয়তের নির্বাহী সভাপতি ওয়াক্কাছ, মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী
রাজনীতি
০৭ নভেম্বর ২০১৫, ১৬:৪২
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে  মুফতি ওয়াক্কাছকে নির্বাহী সভাপতি ও মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করা হয়েছে। শনিবার সকালে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলে দলটির আট শতাধিক কাউন্সিলর যোগ দেন।যদিও কাউন্সিলের আগে থেকেই দলের নির্বাহী সভাপতি ও মহাসচিব পদ নিয়ে লবিং শুরু হয় এবং বড় পরিবর্তনেরআভাস পাওয়া যায়।  ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলেছে নাটকীয়তা। দলের গুরুত্ব পূর্ণ পদে নিজেদের অবস্থান  ধরে রাখতেজমিয়তে মধ্যরাতে ঝড় বয়ে যায়।সূত্র জানায়, দলের পদ পাওয়া-না পাওয়ার জেরে ভাঙতে-ভাঙতে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেয়েছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলেছে নাটকীয়তা। অবশেষে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৪ বছরের অভিজ্ঞ মহাসচিব মুফতি ওয়াক্কাছকে নির্বাহী সভাপতি ও মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করার। যদিও  বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর প্রশ্রয়ে একটি বিরোধী গ্রুপ তাকে মহাসচিব পদ থেকে সরাতে তৎপর ছিল। এই গ্রুপে মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, শাহীনূর পাশা চৌধুরী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনসহ আরও অনেকে ছিলেন। কিন্তু  নির্বাহী সভাপতি বা আগের পদ মহাসচিব না পেলে মুফতি ওয়াক্কাছের নেতৃত্ব নতুন জমিয়ত দাঁড়িয়ে যেত। এমনকি শনিবারই অন্য অংশের কাউন্সিলের পাশাপাশি রাজধানীর কোনও অডিটোরিয়ামে তারা নতুন কমিটির ঘোষণা হতো। এই কমিটিতে হবিগঞ্জের মাওলানা তাফাজ্জুল হক, শায়খ নোমানের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তুত ছিল। পাশাপাশি মানসুরুল হক রায়পুরী, মহিউদ্দীন ইকরাম, অলিউল্লাহ নোমানসহ অনেকে কেন্দ্রীয় বড় পদ থাকত।শনিবার সকালে রাজধানীর আজিমপুরে ঢাকা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত  কাউন্সিলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই দলটির আট শতাধিক কাউন্সিলর যোগ দেন। এরমধ্যে নব নির্বাচিত মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর অনুসারীদের প্রভাব বেশি দেখা যায়। কাউন্সিলের শুরুতে দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। কাউন্সিলে মজলিসে আমেলার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০১ সদস্যের নতুন কমিটির নাম প্রস্তাব করেন মাওলানা জহুরুল হক ভূইয়া। কণ্ঠভোটে এই কমিটি অনুমোধিত হয়।নতুন কমিটিতে যারা আছেনসভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল মুমিন, নির্বাহী সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাছ, মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, সহ-সভাপতি- মাওলানা মহিউদ্দীন খান, মাওলানা তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জী, মাওলানা মোস্তফা আজাদ, মাওলানা জিয়া উদ্দিন, মাওলানা জহিরুল হক ভূইয়া, মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী, মাওলানা জোনায়েদ আল হাবীব, কারী আব্দুল খালেক, মাওলানা তৈয়ব নেজামী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মনসূর হাসান রায়পূরী, মাওলানা গোলামুর রহমান, মাওলান আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী,  যুগ্ম মহাসচিব- মাওলনা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা শাহীনুর পাশা, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলনা ফজলুল করীম, মাওলানা তাফাজ্জল হক আজীজ, মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ জামী, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সহকারি মহাসিচব মাওলানা মাসউদুল করীম, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলনা আতাউর রহমান, মাওলানা মতিউর রহমান কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা আব্দুল হক কাউছারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনীর হোসাইন, কৃষি সম্পাদক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা যয়নুল আবেদীন প্রমুখ।/সিএ/এমএনএইচ/
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা কমিটির সভাপতি লিয়ন, সেক্রেটারি কাকন
রাজনীতি
১২ নভেম্বর ২০১৫, ২১:০০
রায়হান তাহারাত লিয়ন সভাপতি ও কাকন বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর শাখার ১৩তম কাউন্সিলের শেষ পর্বে তাদের নির্বাচিত করা হয়।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিফাত বিন সালাম রূপম, সাংগঠনিক সম্পাদক  মোহাম্মদ হোসেন রিয়াদ, অর্থ-সম্পাদক  মেহেদি হাসান অভি, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক  প্যাট্রিক চিসিম, প্রচার সম্পাদক  কামরুজ্জামান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক   ইসরাত জাহান এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক   অনুপম রায় রূপক।নব নির্বাচিত সভাপতি তাহারাত লিয়ন ও সেক্রেটারি কাকন বিশ্বাস সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেন। কাকন বিশ্বাস ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র। পাশাপাশি তাহারাত লিয়ন অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে আইনে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।এর আগে বুধবার সকালে 'শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হোন, শিক্ষা ব্যবসা বন্ধ কর, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত কর, সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব ও যৌন নিপীড়ন রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক শিরোনামে কাউন্সিল শুরু হয়।কাউন্সিল উদ্বোধন করেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক। প্রধান বক্তা ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, শিক্ষা আজ প্রজন্ম ধ্বংসের হাতিয়ার হয়ে পড়েছে।  এ থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে এক হয়ে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে নামতে হবে।/এসটিএস/এমএনএইচ/
মোবাইলফোনের ইন্টারনেট প্যাকেজ যেভাবে বেশি টাকা কেটে নেয়
তথ্যপ্রযুক্তি
০১ এপ্রিল ২০১৫, ১২:৪১
লুকোচুরি করে নয়, বরং জানিয়েই ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইন্টারনেট প্যাকজের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা আয় করে নেয় মোবাইলফোন প্রতিষ্ঠানগুলো। জরিপে দেখা গেছে যত কম দামে ইন্টারনেট ব্যবহারের ঘোষণা দেয় এসব প্রতিষ্ঠান, ব্যবহারকারীরা তত বেশি টাকা খরচ করে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ইকনমিকস রিভিউ সম্প্রতি এক গবেষণা প্রবন্ধে বিষয়টি উল্লেখ করে। তাদের মতে, যেহেতু ব্যবহারকারীরা ঠিক কি পরিমাণ ডাটা তার দরকার সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন না, ফলে তারা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে। 'অ্যালার্ট মেসেজ' তাদের এ কাজে উৎসাহিত করে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।ধরা যাক, একজন ব্যবহারকারী ৭ দিনের জন্য ৭৫ মেগাবাইটের প্যাকেজ কিনলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ, খবর, ছবি দেখা, গান শোনা এসব কাজে দ্রুতই ডাটা ফুরিয়ে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে মোবাইলফোন প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের পরিমাণ জানিয়ে বার্তা পাঠান।ব্যবহারকারী স্বভাবত ইন্টারনেটের আওতামুক্ত থাকতে চান না। ফলে তারা নতুন প্যাকেজ কিনে নেন শীঘ্রই। অথবা পুরনো প্যাকেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। মোবাইলফোন প্রতিষ্ঠানগুলো অটো রিনিউয়ালের ব্যবস্থা রাখে এ জন্য। ব্যবহারকারীরা বেখেয়াল থাকেন কখন তার ফোনের টাকা কেটে প্যাকেজ রিনিউ করা হয়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গভীর রাতে অটো রিনিউয়াল হয়ে থাকে। যখন ব্যবারকারীরা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন বা ঘুমিয়ে থাকেন।যদিও 'সাবধান' করা হয় অটোরিনিউাল বিষয়ে, তবে রিনিউয়ালের সময় ব্যবহারকারীর পক্ষে তা বাতিলের ব্যবস্থা রাখা হয় না।দুই গবেষক ম্যাথিউ অবসর্ন এবং মাইকেল গ্র্যাব বলেন, ব্যবহাকারীরা জানেন না তাদের কি পরিমাণ ডাটা দরকার। বেশিরভাগ ডাটা ব্যবহার করে ফেলার পরও যে কারণে তারা ফের নতুন প্যাকেজ কিনে থাকেন।পোস্ট-পেইড গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এমন বিড়ম্বনা বেশি বলে গবেষণায় জানানো হয়। মাস শেষে অর্থ পরিশোধ করতে হয় বলে তাৎক্ষণিক খরচের বিষয়টি তারা মাথায় রাখেন না। তাছাড়া কোনও গান, সিনেমা বা খবরের মাঝপথে ডাটা শেষ হয়ে যাওয়ার হতাশা তারা মেনে নিতে চান না। ফলে বেশি টাকা খরচ করেন। আয় বাড়ে মোবাইলফোন প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদের অাগেই (অটো-রিনিউয়ালের সময়) ডাটা শেষ হয়ে গেলে মোবাইলের হিসাবে যে পরিমাণ টাকা থাকে সেই টাকা থেকে সরাসরি ইন্টারনেটের জন্য টাকা কাটতে থাকে। ফলে দ্রুত ব্যবহারকারীর টাকা শেষ হয়ে যায়।/এসএস/এইচএএইচ/
আমি বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি আসছি: কাজী জাফর
রাজনীতি
২৭ আগস্ট ২০১৫, ২০:১২
মৃত্যুর আগের দিন বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাজী জাফর আহমদ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের ফোন করে জানিয়েছিলেন, তিনি বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়াতে আসছেন। ওইদিন বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে বসে চা পান করবেন। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক দিন তোমাদের সঙ্গে দেখা হয় না, আমি বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে আসবো, তোমরা সবাই আসবে। আমি তোমাদের সঙ্গে বসে গল্প করবো।’ কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আসলেন না, এলো তার না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার খবর।তার ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তফা জানান, বাসার লোকজন বাড়ি আসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ট্রেনের টিকিটও কেটে রাখা হয়। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জুসও পান করেন তিনি। হঠাৎ শরীরটা একটু ক্লান্ত বোধ করায় তিনি বিশ্রামে যান। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কাজী জাফর আহমদকে কমলাপুর রেল স্টেশনে নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুত করা হয়। তাকে ঘুম থেকে জাগানোর চেষ্টা করলে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে নিজ নির্বাচনি এলাকা ও জন্মস্থান চৌদ্দগ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। সকাল ৮টায় কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুর সংবাদ জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তফা।১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজের্লা বিখ্যাত চিওড়া কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কাজী জাফর আহমদ। তার বাবা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী আহমদ আলী ও মা তাহেরা বেগম। ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি মেঝো। তার তিন মেয়ে রয়েছে।মেধাবী ছাত্র হিসেবে কাজী জাফর আহমদ খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীকালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স ও এমএ (ইতিহাস) পাস করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এমএ এবং এলএলবি কোর্স সম্পন্ন করা সত্ত্বেও কারাগারে চলে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক ঘটনার সাক্ষী ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। কাজী জাফর আহমদ ১৯৫৯-১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি ১৯৬২-১৯৬৩ সালে অবিভক্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের (এপসু) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬২ সালে সামরিক শাসন ও শরীফ শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে কাজী জাফর আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ছাত্রজীবন শেষে কাজী জাফর আহমদ শ্রমিক রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন।১৯৭২-১৯৭৪ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তখন ছিলেন ন্যাপের চেয়ারম্যান। এরপর ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেড পিপলস্ পার্টির (ইউপিপি) প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও পরে চেয়ারম্যান হিসেবে সক্রিয়ভাবে পার্টির সাংগঠনিক দায়িত্ব ও জাতীয় রাজনীতিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিপরিষদের শিক্ষামন্ত্রী হন।১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮৬-১৯৯০ সালে তিনি জাতীয় পার্টির সরকারে পর্যায়ক্রমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বন্দর-জাহাজ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা, ১৯৮৯-১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮৬-১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের উপনেতা এবং ১৯৮৯-১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতা ছিলেন। ১৯৮৬-১৯৯৬ পর্যন্ত পর পর তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তী সরকারে যোগদান নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর কাজী জাফর আহমদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন এইচ এম এরশাদ। এরপর দলের একাংশকে নিয়ে জাতীয় পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন কাজী জাফর। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর গত বছরের ২৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজী জাফর আহমদ জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।/এমডিপি/এএইচ /
'আলোহীন চোখ অভিশাপ নয়, অামার জীবনে আশীর্বাদ'
তথ্যপ্রযুক্তি
২০ ডিসেম্বর ২০১৪, ১৮:৫০
ভাস্কর ভট্টাচার্যের দু'চোখ কোনওদিন অালো দেখেনি অথচ তিনিই 'অন্ধজনে' অালো বিলিয়ে বেড়ান।তিনি ছেলেকে পড়ান। বিশেষ সফটওয়্যারের সহযোগিতায় পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাব এবং মোবাইলফোন ব্যবহার করেন। নিজে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও 'দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বা অন্ধদের' তিনি কম্পিউটার শেখান।অন্ধদের পড়াশোনার শেখার জন্য তৈরি করেছেন ব্রেইল বই এবং ডেইজি বা টকিং বুক। এই বই নিজে থেকেই পাঠককে পড়ে শোনায়।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী ভাস্কর ভট্টাচার্য ওয়েবসাইটও ডিজাইন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি সরব। নিয়মিত ই-মেইল ব্যবহার করেন, স্কাইপেতে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেন। বিদেশে বিভিন্ন সম্মেলনে যোগ দিতে যান একা একা। তার ভাষায়, 'একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যা যা করতে পারে, অামিও তাই পারি।'তিনি ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করলেও নিজেকে 'একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ' ভাবতে পছন্দ করেন।সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হিটলার এ. হালিমবাংলা ট্রিবিউন: প্রযুক্তি অপনার জীবনকে কীভাবে বদলে দিয়েছে?ভাস্কর ভট্টাচার্য: যুগে যুগে মানুষের ইতিহাসের সঙ্গে প্রযুক্তির ইতিহাস মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিশ্বের সব প্রতিবন্ধী যদিও একে অপরের থেকে আলাদা এবং একই জাতিও নয়, তবুও উন্নত রাষ্ট্রগুলো সবার জন্য একই বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে সবাইকে মূলস্রোতধারায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ করে দিয়েছে। এক কথায়, আমার ব্যক্তি জীবনের সীমাবদ্ধতা ২০০২ সালে জাপানের ডাসকিন লিডারশিপ প্রশিক্ষণ (তথ্যপ্রযুক্তিতে ডিপ্লোমা) নানাভাবে প্রভাবিত ও প্রতিফলিত হয়েছে। জাপানের প্রযুক্তি এমনিতেই উন্নত। ক্রমে আমি শ্রম ও মেধার সমন্বয়ে নতুন নতুন আরও প্রযুক্তি ব্যবহারে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।আমি আমার সবধরনের কাজের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। যা আমার জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বলতে গেলে, আমার লাইফ স্টাইল সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছি। সব সময় আমাদের জন্য প্রযোজ্য ও উপযোগী সফটওয়্যারগুলো সার্চ করে ব্যবহার করছি। এজন্য ইপসা-আইআরসিডি (আইসিটি রিসোর্স সেন্টার ফর দ্য ডিজঅ্যাবল্ড) সেন্টার থেকে একদল কর্মীবাহিনীও আমাকে নিরলসভাবে পূর্ণকালীন কাজের মাধ্যমে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।বাংলা ট্রিবিউন: প্রযুক্তির কাছে অাপনার চাওয়া কী?ভাস্কর ভট্টাচার্য: আমি একটি বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক পৃথিবীতে বাস করতে চাই। যেখানে সবার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুকূল পরিবেশ থাকবে। সব মানুষের সহযোগিতায় আমরা একটি সুন্দর বাসযোগ্য প্রতিবন্ধীবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তুলব।প্রযুক্তিগত প্রয়োগের মাধ্যমেই আজ আমার জীবনে অগ্রগতির এক অপার সম্ভাবনা খুলে দিয়েছে। আমি চাই প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনের সব ক্ষেত্রে যোগাযোগে কোনও বাধা থাকবে না। একুশ শতকের বিশ্বে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সব ধরনের প্রতিবন্ধীর প্রবেশের সুযোগ থাকবে। এজন্য সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যক্রমগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। তাহলে আইসিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম ও ব্যবহারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমাদের আরও সাফল্য ও অবদান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাবে।বাংলা ট্রিবিউন: অাপনি একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। প্রযুক্তি কীভাবে অাপনার চোখের অালো হয়ে উঠল?ভাস্কর ভট্টাচার্য: আমার বাসায় ১৯৯৫ সাল থেকে কম্পিউটার ছিল। সেদিন আমি কল্পনা করতে পারিনি যে, আমার দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও কোনওদিন আমি কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারব। নিজের মনের কথা মানুষের কাছে প্রযুক্তির সাহায্যে তুলে ধরতে পারব। প্রযুক্তিই আমার এই অসম্ভব কল্পনাকে, স্বপ্নকে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। কোথাও থমকে দাঁড়াতে হয়নি।একটি ল্যাপটপ ও স্ক্রিন রিডিং সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রশিক্ষণ আমাকে সাবলম্বী হওয়ার পথকে নিশ্চিত করেছে। আজ আমার প্রযুক্তি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারি, ওয়েবভিত্তিক তথ্য ও প্রযুক্তির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছি।আসলে ব্যক্তি হিসেবে প্রতিটি মানুষের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রয়েছে। এই অস্তিত্বের মধ্যে মানুষের স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির স্ফূরণ ঘটে। তাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হিসেবে দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা আমার অভ্যন্তরীণ। এই অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে যে দৃষ্টিপাত, আমার সে অস্তিত্ব অনেক জোরালো থাকায় প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহারের মাধ্যমে নয়নের বাঁধ ভেঙ্গে মনের খোলা জানালা আজ আমার চোখের আলো হয়ে উঠল। কবিগুরুর সুরে সুর মিলিয়ে বলতে হয় 'অন্তরে আজ দেখব যখন আলোক নাহিরে।' বাংলা ট্রিবিউন: প্রযুক্তিতে অাপনার হাতেখড়ির বিশেষ ঘটনাটি জানতে চাই।ভাস্কর ভট্টাচার্য: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে ২০০২ সালে জাপানে ডাসকিন লিডারশিপ প্রশিক্ষণেরর প্রথম দিনে আমার হাতে একটি ল্যাপটপ ধরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনিং কোর্ডিনেটর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, 'এটি আজ থেকে তোমার।' বলতে গেলে শুরুতে এভাবেই প্রযুক্তির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঘটেছিল।এই ল্যাপটপ ব্যবহারের সঙ্গে মিতালি ঘটিয়ে আমার নিজস্ব অবস্থান থেকে ক্রমেই আমি আমার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। যা আমার জীবনকে অবিশ্বাস্য ও অদ্ভূতভাবে পাল্টে দিয়েছে।আজ আমি আমার কথা একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে পারছি। এই যন্ত্রটিই আমাকে এমন কিছু মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক করা ও পরিচিত হওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে যাদের সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার বা কথা বলার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। সেই থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্তরের জিনিসকে বাইরে প্রকাশ করার সুযোগ ঘটে যায়। বলা যায়, 'তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যতদূরে আমি ধাই...'বাংলা ট্রিবিউন: এ বিষয়ে কি অাপনার কোনও পড়াশোনা অাছে?ভাস্কর ভট্টাচার্য: আগেই বলেছি জাপান থেকে আমি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছি। পরবর্তীতে প্রতিবন্ধীবান্ধব প্রযুক্তি বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন গবেষণা, উন্নয়ন ও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা ও পরামর্শ পেয়েছি।আমি বাংলাদেশ থেকে DAISY (Digital Accessible Information System) এর ফোকাল পারসন নির্বাচিত হই। এটি সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক Accessible Information System যা পৃথিবীব্যাপী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীবান্ধব ই-টেকনোলজি বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।জাতীয় আইসিটি গ্রুপের একজন আহবায়ক হিসেবে আইসিটি সেক্টরকে কীভাবে প্রতিবন্ধীবান্ধব করে গড়ে তোলা যায় এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করি।GAATES (GLOBAL ALLIANCE on ACCESSIBLE TECHNOLOGIES & ENVIRONMENTS) Country Representative হিসেবেও অামি কাজ করছি।জাতীয়ভাবে এটুঅাই (একসেস টু ইনফরমেশন) কর্মসূচির অধীনে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছি।একই সঙ্গে আমি Chittagong Computerized Braille production Centre and ICT & Resource Centre on Disability -এর প্রতিষ্ঠাতা।মাসিক কম্পিউটার জগতে আইসিটি সেক্টর নিয়ে অামি নিয়মিত লেখালেখি করি। এভাবে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ও মিডিয়া সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকি।এ ছাড়াও নিজেকে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে জাপান, থাইল্যান্ড, ভারত, লন্ডন, ফিলিপাইন, চীন, তুরস্কসহ পৃথিবীর প্রায় ২০টিরও বেশি দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রবেশগম্যতা নিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান ও গ্রহণ করি। বাংলা ট্রিবিউন: অাপনি ইপসার (ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন) মতো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক। কীভাবে সম্ভব হলো?ভাস্কর ভট্টাচার্য: জাপান থেকে ফিরে এসে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণের সুযোগ হেয়েছিল। জাপান থেকে দেশে ফিরে এসে আমি সরকারি বেসরকারি কোনও মহলকে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছিলাম না যে, প্রশিক্ষণটা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন এমনকি এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যও ভিন্ন।প্রায় এক বছর আমি বেকার অবস্থায় থাকি। একটা চাকরির জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে থাকি। বিভিন্ন জায়গায় লবিংও করা হচ্ছিল পরিবার থেকে। কিন্তু কোনও মতেই আমার প্রশিক্ষণলদ্ধ মেধাকে উপযুক্ত স্থানে ব্যয় করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না।২০০৪ সালে বেসরকারি সংস্থার একটি মত বিনিময় সভায় আমার প্রশিক্ষণ সম্পর্কে, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিশ্ব সম্পর্কে আমি আবারও মতামত ব্যক্ত করি। ওই অনুষ্ঠানে ইপসার প্রধান নির্বাহীও ছিলেন। ইপসা একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব সংগঠন। তিনি আমাকে ওনার প্রতিষ্ঠানে একটি ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেন।প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই যেহেতু একজন লোক নিয়োগ দেওয়ার পেছনে কিছু বিষয়ের চাহিদা রাখে। তিনি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিলেন এবং সুযোগ করে দিলেন প্রযুক্তিবিষয়ক আরও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের, ইন্টারনেট ব্যবহারের অবারিত সুযোগ সুবিধা এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদানের সবরকমের চাহিদাভিত্তিক সুবিধা।এছাড়া নিজ উদ্যোগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করানো ও উপস্থাপনার সুযোগও তৈরি করে দেন তিনি। ফলে প্রযুক্তি সম্পর্কিত জ্ঞানে আমি আরও অভিজ্ঞ হয়ে উঠি এবং আমাকে বিশেষভাবে আইসিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য 'ডেইজি কনসোর্টিয়াম' এর সহযোগিতায় ইপসা-আইআরসিডি প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করি। ওই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা ডস ফর উইন্ডোজ, ই-মেইল, মোবাইলফোন ও স্কাইপে সাবলীলভাবে ব্যবহার করতে পারছে।আমাদের প্রশিক্ষণ সেন্টার থেকে ২৫০ প্রশিক্ষণার্থী বের হয়েছে। ৫০০ -এর বেশি ডিজিটাল টকিং বুক তৈরি করেছি। সম্প্রতি প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বোর্ডের বইগুলো ডিজিটাল টকিং বই করা হয়েছে। জাতীয় ই-তথ্যকোষে পাওয়া যাবে বইগুলো। যা সাধারণ শিক্ষার্থীরাও পড়তে পারবে।প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে এসে আমার উদ্দেশ্য ছিল দেশের ক্ষীণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহারকে সহজ করে একটি সুন্দর জীবন যাপনের ব্যবস্থা করা। আইআরসিডি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমি সেই সুযোগ পেয়েছি।বর্তমানে আইআরসিডি প্রকল্পের সম্পূর্ণ দায়িত্বভার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে যাচ্ছি। এই প্রকল্পে আমরা বিনা খরচে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, তাকে এখন চাকরি দেওয়া যায়। প্রায়েগিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি, আমাদের এখান থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে অনেকে ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।বাংলা ট্রিবিউন: প্রযুক্তিকে অাপনি বশ মানালেন কীভাবে?ভাস্কর ভট্টাচার্য: মানুষ ছাড়া প্রযুক্তির উদ্ভাবন অকল্পনীয়। আমি যা অর্জন করেছি সেই পথটা সবাইকে দেখিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমার প্রতিষ্ঠানে একটি (আইআরসিডি নামে) সেন্টার প্রতিষ্ঠা করি। আমি প্রশিক্ষক হয়ে সংস্থার উদ্যোগে প্রথমে সেন্টারটি পরিচালনা করি। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণার্থীরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পায়। এখান থেকেই মূলত আমার আরও এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। সেই বিশ্বাস থেকেই জাতীয়ভাবে প্রযুক্তি বিষয়ে অবদান রাখতে সক্ষম হই। আমার প্রশিক্ষণার্থীরাও অনায়াসে মেইনষ্ট্রিমে কন্ট্রিবিউট করতে পারছে।বাংলা ট্রিবিউন: 'অন্ধজনে দেহ অালো' এই অাপ্তবাক্যটিকে অাপনি কীভাবে দেখেন?ভাস্কর ভট্টাচার্য: ধরুন, সৃষ্টিকর্তা আমাকে এখন জানাল যে, তোমার চোখে আমি আলো দিতে চাই। আমি জবাবে বলব, প্রযুক্তির এই দুনিয়াতে আমি চোখের আলোয় দেখতে চাই না। আমি মনের আলোয় দেখতে চাই। আমার মনের আলো চোখের ভাষা বলবে। তাই সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আমি দৃষ্টি চাইব না। আমি মনে করি, আমার আলোহীন চোখদুটি আমার জন্য মোটেই অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ।  আমার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীত্ব আমাকে এমন অনেক অনন্য সুযোগ, অভিজ্ঞতা অর্জন ও সম্ভাবনা এনে দিয়েছে যা আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী না হলে কখনই সম্ভব হতো না। আমার প্রতিবন্ধীত্ব নিয়ে আমি খুশী ও কৃতজ্ঞ। কেননা এই প্রতিবন্ধীত্বের কারণেই আজ আমি আজকের মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছি। তাছাড়া আমার পরিবারও সব সময় চেষ্টা করেছে, আমি যেন আমার সক্ষমতার বিষয়ে মনোযোগী হই।বাংলা ট্রিবিউন: সরকারের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড সম্পর্কে জানতে চাই। অাপনি নিজেই এই ফান্ড থেকে অনুদান পেয়েছেন।ভাস্কর ভট্টাচার্য: আমি জাতীয়ভাবে ২০১৩ সালে এটুআই প্রকল্পের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পাঠ্যবইগুলো ই-বুকে রূপান্তর করেছি। যার ফলে সহজেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পড়াশোনা করতে পারছে।বাংলা ট্রিবিউন: তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন অান্তর্জাতিক সম্মেলনে অাপনাকে অংশ নিতে দেখা যায়। কীভাবে এসব কাজ করেন?ভাস্কর ভট্টাচার্য: অগ্রসর প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কীভাবে প্রতিবন্ধীবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় এই বিষয়ে কাজ করছি। তবে এই প্রক্রিয়াটি এত সহজ ছিল না।এই বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়েছে এবং নেটওয়ার্কের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হই। যার জন্য নিয়মিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে এই দক্ষতার পরিচয় দিতে গিয়ে এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত হই এবং অংশ নিই।মূলতঃ প্রযুক্তির কল্যাণেই আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামর্থ প্রমাণ ও যোগ্যতার অবদান রাখা সম্ভব হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইসিটি কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ দি ইনফরমেশন সোসাইটি উদ্ধাবনী তহবিল (আইএসএফ) এশিয়া, জাতীয় ই-কনটেন্ট অ্যান্ড আইসিটি চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড-২০১০, মন্থন অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়া ফর ডেইজিসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছি।বাংলা ট্রিবিউন: অামাদের জানা অাছে যে, অাপনি নিজেই অাপনার ছেলের স্কুলের পড়া দেখিয়ে দেন, গল্প পড়ে শোনান! যদিও অাপনার ছেলে অাপনার কাছেই পড়তে চাইত। অাপনার মতে, তার ধারণা ছিল, বাবা অামাকে পড়াতে পারবে না। এই অসাধ্য সাধন করলেন কীভাবে?ভাস্কর ভট্টাচার্য: ধারাবাহিকভাবে কারিগরি প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার সমাজ সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে পারে। আপনারা জানেন, আমরা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বইগুলো ইলেকট্রনিক হিসেবে তৈরি করেছি।ডিজিটাল ব্রেইল সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রিন্ট করে পড়া যাবে ব্রেইল সংস্করণ। অডিও শুনেও বইগুলো পড়া যাবে। মাল্টিমিডিয়া সংস্করণ দেখেও পড়া যাবে বইগুলো। এছাড়া বইগুলোর লেখা ইউনিকোডে আছে, যা ননডিজেবল ডেস্কটপ একসেস (এনভিডিএ) সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা।মূলত আমি আইটি এডুকেশনের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। তাই অডিও, এনভিডি একসেস ইত্যাদি যেকোনও পদ্ধতিতে আমি আমার সন্তানকে পড়াই।আমাদের লক্ষ্য হলো আইসিটিকে ব্যবহার করে শিক্ষা কর্মসূচিতেও প্রতিবন্ধীদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা। যার জন্য আমার না দেখে পড়ানো ও আমার সন্তান দেখে পাঠ গ্রহণ করার মধ্যে কোনও পার্থক্য দেখছি না।বাংলা ট্রিবিউন: সময় দেওয়ার জন্য অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ।ভাস্কর ভট্টাচার্য: ধন্যবাদ বাংলা ট্রিবিউনকেও। বাংলা ট্রিবিউন দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাক।শ্রুতি লিখন: রুশো রহমান/এইচএএইচ/
বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে: রওশন এরশাদ
রাজনীতি
২৯ আগস্ট ২০১৫, ১৮:২৫
দেশে একইসঙ্গে  বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশেও কমানোর দরকার ছিল। কিন্তু  উল্টো মূল্যবৃদ্ধি করে  জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীত কাজ করা হয়েছে। শনিবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।রওশন এরশাদ বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রথমত দুর্ভোগে পড়বে জনগণ। এর ফলে পরিবারের ব্যবহার্য গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ছাড়াও বাড়বে দ্রব্যমূল্য, পরিবহন ব্যয় ও জীবন যাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষেত্রে। এর বেশিরভাগ চাপ পড়বে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর।বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যবসা ও বিনিয়োগ তথা সার্বিক অর্থনীতিতেও। এ অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সকল উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলে উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। এ ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই বিনিয়োগে আসতে চাইবেন না। ফলে নিরুৎসাহিত হবে বেসরকারি খাত। এ কারণে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে বিনিয়োগবিরোধী বলেই মনে হয়।বিরোধী দলীয় নেতা আশা প্রকাশ করেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারের উচিত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনাসহ জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করবে।/এসটিএস/এমএনএইচ/
ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা করবে যেসব অ্যাপ
তথ্যপ্রযুক্তি, প্রযুক্তি নিউজ
৩০ নভেম্বর ২০১৫, ১৪:৫৮
স্মার্টফোনের যুগে ছবি তোলা আর আগের মতো কঠিন বিষয় নয়। তাই ক্যামেরার চাহিদা কমে গিয়েছে অনেকটাই। স্মার্টফোনে যতক্ষণ চার্জ থাকে ততক্ষণ উঠে ছবি। তাইতো স্মার্টফোন কিনতে প্রথমেই যে জিনিসটি জানতে চাওয়া হয় তা হলো-ক্যামেরা কত মেগাপিক্সেলের?তবে এখন প্রতিযোগিতার ধরন বদলে যাচ্ছে। স্মার্টফোনে ভালো ছবি আসার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কার ফোনে কত ভালো ছবি কিংবা ভিডিও সম্পাদনা করা যায়।আর এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাহায্য নেন বিভিন্ন অ্যাপের। এসব অ্যাপ আপনাকে দিবে ছবির আমূল পরিবর্তনের সুবিধা। যেখানে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন। এছাড়া সম্পাদনা করা যাবে ভিডিও।ছবি এবং ভিডিও সম্পাদনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এমন কয়েকটি অ্যাপ হলো-ভিন্টিকভিন্টিক অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এই দুটি অপারেটিং সিস্টেমেই পাওয়া যায়। আপনি আপনার ছবি কিংবা ভিডিওতে ভিনটেজ অ্যাফেক্ট সংযুক্ত করতে চাইলে আদর্শ হিসেবে কাজ করবে ভিন্টিক অ্যাপ। এছাড়া ফ্রেম, টেক্সচার প্রভৃতি যোগ করার সুযোগও পাবেন এতে।বুমেরাংঅ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসে চালানো যাবে বুমেরাং অ্যাপটি। এই অ্যাপটি ইন্সটাগ্রামের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে। এটি আপনাকে ছোট ভিডিও বানানোর সুযোগ দিবে। এই অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য কোন সাইন-আপের প্রয়োজন হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি যে ভিডিও ধারণ করবেন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডিভাইসে সংরক্ষিত হবে।হোরাইজন ক্যামেরাআপনি যেভাবেই আপনার ফোনকে ধরুন না কেন এই অ্যাপটি আপনার ফোনকে আনুভূমিক ছবি এবং ভিডিও ধারনে বাধ্য করবে। এটি স্লো-মোশন ভিডিও রেকর্ডিং করতেও সক্ষম।পেপার ক্যামেরাএই অ্যাপের সাহায্যে আপনি ছবিতে বিভিন্ন কার্টুন সংযুক্ত করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও এর সাহায্যে ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট, এজ প্রভৃতি পরিবর্তন করতে পারবেন।ক্যান্ডি ক্যামেরাক্যান্ডি ক্যামেরা অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এই দুটি অপারেটিং সিস্টেমেই ব্যবহার করা যায়। সেলফি তোলার জন্য এটি খুব উপযোগী একটি অ্যাপ। মূলত সবচেয়ে ভালো সেলফি যেন তোলা যায় সে উদ্দেশ্যেই তৈরী করা হয়েছে এই অ্যাপ-এমনটিই বলেন উদ্ভাবকরা।এনলাইটএনলাইট অ্যাপটি শুধু আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যাবে। তবে এই অ্যাপটি বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। অ্যাপটি পেতে হলে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। এই অ্যাপটি ছবি সম্পাদনার ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করবে। এর সাহায্যে ক্রপ, ক্ল্যারিটি অ্যাডজাস্ট, অবজেক্ট রিমুভ, টেক্সট অ্যাড ইত্যাদি খুব সহজেই করা যায়।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/এনএস/
‘অরক্ষিত’ কূটনৈতিক এলাকা নিয়ে উদ্বেগ বিরোধীদলীয় নেতার
রাজনীতি
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ২০:০৭
রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা খ্যাত গুলশান ও বারিধারার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আবারও অরক্ষিত হয়ে পড়ায় সেখানে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ সদস্য রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল-আলি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও সম্প্রতি তা ঝিমিয়ে পড়েছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ ইতালির নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যাকাণ্ড।বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন হাসানের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানান রওশন এরশাদ। দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তাবেল্লার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান তিনি।রওশন বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সহায়তায় আসা উন্নয়নকর্মীর যে কোনও ক্ষতি নিন্দনীয়। এ ক্ষেত্রে নাশকতা ও অন্তর্ঘাত বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। /সিএ/এআই/এফএ/
বর্তমানে দেশে কোনও সুশাসন নেই: এরশাদ
রাজনীতি
০৫ অক্টোবর ২০১৫, ২১:৪৬
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন,গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হচ্ছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা। এটা যেকোনও সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বর্তমান সরকার এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ দেশে কোনও সুশাসন নাই। আর সুশাসন ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন।সোমবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ মন্তব্য করেন এরশাদ।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকার যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারেনি, তারই জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে ঈদের পরে সংঘঠিত হত্যাকাণ্ডগুলো। শুধু দেশের সাধারণ মানুষ নয়, বিদেশি নাগরিকরাও এদেশে নিরাপদ নয়। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয় দেশে সুশাসনের অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে।উদ্বেগ প্রকাশ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, প্রতিনিয়ত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ঈদুল আজহার আগে গরুর হাটে দলীয় লোকজনের চাঁদাবাজির কারণে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নিরীহ মানুষের নির্মম হত্যাকাণ্ড, ঈদের কয়েকদিন পরেই গুলশানের একজন ইতালিয়ান নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত প্রকৃত হত্যকারীকে খুঁজে বের করতে পারেনি। গাইবান্ধায় একজন সংসদ সদস্য মাতাল অবস্থায় একটি শিশুকে গুলি করে আহত করেছে। এ সরকারের আমলে শিশুরা যে নিরাপদ নয় তা আমরা ঈদের আগেও দেখেছি রাকিব, রবিউল, রাজন হত্যার মধ্য দিয়ে। এমনকি মায়ের পেটে শিশু সুরাইয়াও রক্ষা পায়নি সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে।অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, দলীয় ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার দাবি জানান এরশাদ। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সফলতা অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর এ পুরস্কার পাওয়ায় আমরা খুব খুশি। তবে সন্ত্রাস, রাহাজানি, দলীয়করণ, টেন্ডারবাজি, সুশাসনের অভাবে প্রধানমন্ত্রীর এসব অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে।মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, দেশে সর্বস্তরের পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার একটি মহোৎসব শুরু হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছে। সম্প্রতি মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া জাতির জন্য দুঃখজনক। জাতীয় পার্টি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একমত পোষণ করে। সরকারকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সব প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় আগামীতে জাতি মেধাশূন্য হিসেবে পরিগণিত হবে।/সিএ/এএইচ/
স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা জামায়াতের!
রাজনীতি
১৩ অক্টোবর ২০১৫, ১৯:১০
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় পরিচয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকলেও স্বতন্ত্র পরিচয়ে দলীয় প্রার্থী দেবে জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জামায়াতের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে নিজেদের মধ্যে অালোচনা করেছে জামায়াত। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করেছে দলটি। দলীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ডা. শফিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এ কমিটিতে নায়েবে অামির মাওলানা অাবদুল হালিম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম বুলবুল, মহানগর সেক্রেটারি সেলিম উদ্দিন, ড. রেজাউল করিমসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন।পরিচয় গোপনের শর্তে জামায়াতের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নিতে বরাবর উৎসাহী। এতে ‌‌নেতিবাচক হলে জনপ্রতিনিধিদের বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে সরকার ফায়দা নেবে বেশি। এতে করে সরকারদলীয় প্রার্থীরা প্রশ্নহীন সুবিধা পাবে।প্রসঙ্গক্রমে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের সব স্তরে দলীয় প্রতীক ও দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন করার জন্য যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদে গ্রহণ করা হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক। জামায়াত নেতা বলেন, দলবাজি ষোলকলায় পরিপূর্ণ করে অঘোষিত বাকশাল কায়েমের নীল-নক্শা থেকেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে সবার আগে সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদের নির্বাচন প্রদান করার জন্য আমরা আবারও জোর দাবি জানাচ্ছি।সূত্রগুলো দাবি করেছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও কেন্দ্র থেকে পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিগত ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলের কারণে অাগ্রহ তৈরি হয়েছে। ওই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৩৪ জন সমর্থিত প্রার্থী, ১৩৪ জন পুরুষ ভাইসচেয়ারম্যান ও ৪৫টির বেশি নারী ভাইসচেয়ারম্যান পদে দলটির সমর্থিতদের বিজয়ী করতে সক্ষম হয়েছিল জামায়াত। এবার পৌরসভা ও অাগামী দিনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ‘ভাল’ ফলাফল অাশা করছে দলটি। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের অানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দেওয়ার অাগে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার হতে চায় জামায়াত। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএনপি দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধিতা করে এসেছে।জানা গেছে, দলীয়ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে জামায়াতকে কোণঠাসা করাই সরকারের পরিকল্পনা হিসেবে কাজ করেছে। সেক্ষেত্রে বাংলা ট্রিবিউনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতকে জন প্রতিনিধিহীন করে তোলা দলীয় ব্যানারে স্থানীয় নির্বাচনের অন্যতম কারণ। স্থানীয়ভাবে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করা গেলে জাতীয়ভাবেও নির্মূল করা সম্ভব হবে দলটিকে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে তৃণমূলে যোগাযোগ শুরু করেছেন জামায়াতের জেলা দায়িত্বশীলেরা। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের জামায়াতের এক নেতা জানান, তাকে জেলা অামির মুখলেসুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে অনুমতি দিয়েছেন। সূত্রমতে, মাধবপুর উপজেলায় পৌরসভা নির্বাচনে উপজেলা অামির অাবদুশ শহীদ প্রার্থিতা করবেন স্বতন্ত্র পরিচয়ে।এছাড়া বি-বাড়িয়া জেলার অামির খাদেমুল ইসলামও পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলীয় প্রার্থী বাছাই করবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অাকাঙ্ক্ষা থাকায় তিনি নিজে শহর পৌরসভায় প্রার্থিতা করবেন না। এ কারণে বিকল্প প্রার্থী খুঁজছেন কেন্দ্রের পরামর্শে।জানা গেছে, কুমিল্লা শহরের সদর দক্ষিণের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম অাগামী স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা করার নির্দেশনা পেয়েছেন। চাঁদপুর-হাজীগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা পেয়েছেন বুরহান উদ্দিন। রাজধানীতে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত এ নেতা এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অাশা প্রকাশ করেছেন। তবে দলের অনুমতি পেলেই তিনি প্রার্থিতা করবেন। লক্ষ্মীপুর জেলার একটি ইউনিয়ন নির্বাচন করতেন মিজানুর রহমান নামে এক জামায়াত নেতা। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জেলা জামায়াত সূত্রে জানা গেছে।জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, কেন্দ্র থেকে পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশনা এখন পর্যন্ত না দেওয়ায় প্রকাশ্যে এখনও কোনও কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছেন না তারা। এমনকি অানুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায়ও অাসছেন না সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রার্থীরা।জামায়াতের মহানগর এক নেতার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান ও ২০ দলীয় জোটের সিদ্ধান্তের ওপর জামায়াতের দৃশ্যত অবস্থান নির্ভর করছে। দলীয়ভাবে শেষপর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে গেলে, সেটা জোটগতভাবে হবে নাকি দলীয় হবে; জামায়াতকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে কি না, সেটি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়নি।এই সূত্রের দাবি, দলীয় বা জোটগত হলেও বিপাকে পড়তে হবে জামায়াতকে। যেহেতু নির্বাচন কমিশনে দলীয় নিবন্ধন স্থগিত, সে কারণে শেষপর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নিজেদের প্রার্থীদের পরিচয় দিতে হবে। এরপর বিএনপি কয়টি এলাকা জামায়াতকে ছাড়বে, সে প্রশ্ন এখনও অাছে। পাশাপাশি সরকার ও অাইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অাচরণ নিয়ে দলটির প্রশ্নও তো রয়েছেই।এ প্রসঙ্গে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের যে বিজয়ী ঘোষণা করবে এতে কোনও সন্দেহ নেই। সরকারি দলের নেতারা রিটার্নিং অফিসারের ওপর অবাঞ্ছিত চাপ প্রয়োগ করে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করবে। এমনকি আওয়ামী লীগের লোকেরা পুলিশ প্রশাসনকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে বিরোধী দলের প্রার্থীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেবে না।এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে জামায়াতের প্রচার বিভাগের দায়িত্বশীলদের একাধিক নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তাদের সেলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।/এএইচ/
জামায়াতে ইসলামী
নিজামীর আপিল শুনানি কার্যতালিকায়
রাজনীতি
০২ নভেম্বর ২০১৫, ১৮:৪৪
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল মামলা দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় আপিল মামলাটি ২ নম্বরে রয়েছে। আইনজীবীদের হয়রানি না করতে করা আবেদনেরও শুনানি হবে সেইসঙ্গে।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে শুনানি চলবে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আনোয়ারুল হক ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন নিজামীকে।এ রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় আপিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল শুনানিতে নিজামীর পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন তার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।গত ৯ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে প্রথমে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরপর নিজামীর পক্ষে এক নম্বর অভিযোগ উত্থাপন করেন অ্যাডভোকেট-অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটির কারণে দীর্ঘ মুলতবির পর ৩ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।এদিকে আইনজীবীকে হয়রানি না করতে নিজামীর আবেদনের শুনানিও মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। দুই আইনজীবীকে হয়রানি না করতে নিজামী ও অপর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ গত ২৫ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতির আদালতে দুটি আবেদন করেন। আইনজীবীরা হলেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন।গত ২৭ অক্টোবর প্রাথমিক শুনানি শেষে আবেদন দুটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত।আবেদনে অভিযোগ করা হয়, ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় শিশির মনিরের বাসায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালান। অন্যদিকে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জের বাড়ি যাওয়ার পথে যমুনা সেতুর কাছ থেকে আসাদকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক।/ইউআই/এফএ/
জামায়াতে ইসলামী
বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের আহ্বান জামায়াতের
রাজনীতি
০৫ নভেম্বর ২০১৫, ১৫:০৪
যথাযোগ্য মর্যাদায় আগামী ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। পাশাপাশি সব শাখাকে দিবসটি পালনে নির্দেশ দিয়েছেন এই জামায়াত নেতা।বিবৃতিতে মকবুল আহমাদ বলেন, আগামী ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশের সিপাহী-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল। তার মতে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর এ দেশের সিপাহী-জনতা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল তা চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশবাসী ভবিষ্যতেও এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করবে ইনশাআল্লাহ।বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘আগামী ৭ নভেম্বর সব মহানগরী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব মহানগরী, জেলা ও উপজেলা শাখা এবং দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’/এসটিএস/এএইচ/
জামায়াতে ইসলামী
কী কাজে আসবে গুগল মেইলের ‘স্নোজ অপশন’
তথ্যপ্রযুক্তি, ট্রিকস
১৯ জুলাই ২০১৫, ১৫:৫০
আপনি হয়তো প্রায়ই মেইলে আসা নানা ইভেন্ট শেষ মুহূর্তে  ভুলে যান। কারণ মেইলটি হয় তো ইভেন্টের অনেক আগেই চলে আসে। আর পরবর্তীতে নতুন মেইলের নিচে চাপা পড়ে যায়। আর আপনিও ভুলে যান। তবে গুগোল মেইলের ‘স্নোজ অপশন’ আপনাকে এই মনভুলা সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।‘স্নোজ’ অপশনের মাধ্যমে আপনি এখন থেকে যখন চাইবেন তখনই প্রয়োজনীয় মেইলটি সামনে চলে আসবে। এটা অনেকটা রিমাইন্ডার কিংবা ইভেন্ট এলার্মের মতো কাজ করবে। ‘মেইল এর্লাম’ বললেও ভুল হবে না। এটি নানা রকম জরুরি কাজে আসবে আপনার। যেমন- হয়তো কোনও পণ্যের ওপর একটি বিশেষ দিন ছাড় থাকবে,  কিংবা বিশেষ দর্শনীয় স্থানে পাবেন বিশেষ সুযোগ। কিন্তু সেই দিনটা তো মনে রাখতে হবে, তবে মেইলটি স্নোজ করে রাখলে আর চিন্তা নেই। আপনার পছন্দ মতো সময় নির্ধারিত সময়েই নোটিফিকেসন পেয়ে যাবেন।এমনই নানারকম সুবিধা পেতে পারেন গুগল মেইলের আপডেট নতুন এই অপশন থেকে। গত এপ্রিল মাস থেকে গুগল মেইল তাদের ইনবক্স অ্যাপে এই সুবিধাটি যুক্ত করে। এখন এটি আরও আপডেট করা হয়েছে।এছাড়া অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি কাস্টমস কমান্ড ব্যবহার করে সকাল, দুপুর কিংবা সন্ধ্যায় অটোটাইম সেট করে দিতেও পারবেন।/এএইচ/
গেমারদের জন্য ইউটিউবের চমক
তথ্যপ্রযুক্তি, গেমস
১৫ জুন ২০১৫, ১৭:২০
গেমারদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসছে ইউটিউব। গেমিংয়ের জন্য আলাদা সাইট ও অ্যাপ চালু করবে ওয়েব জায়ান্ট গুগলের জাত ভাই ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব। শুক্রবার ইউটিউবের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।অ্যামাজনের মালিকানাধীন স্ট্রিমিং সার্ভিস টুইচের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে 'ইউটিউব গেমিং' চালু হলো। বিবিসি জানায়, ইউটিউব গেমিংয়ের মাধ্যমে টুইচ ভক্তদের একটি বড় অংশকে আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা করছে গুগল।বিবিসি গুগলের বরাত দিয়ে বলে, এ মাসেই ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে এবং চলতি বছরেই এই সেবা চালু হবে। ইউটিউব গেমিংয়ে গেম ও গেমার উভয়েরই থাকবে আলাদা প্রোফাইল।ইউটিউব গেইমিং -এর পণ্য ব্যবস্থাপক অ্যালান জয়েস এক ব্লগ পোস্টে বলেন, ইউটিউবে ভিডিওর পুরোপুরি নতুন একটি ধারা সৃষ্টি করবে গেমিং। এবার আমাদের পালা গেমারদের জন্য নতুন কিছু তৈরি করার।গেমিং বিষয়ক ভিডিওগুলোর আলাদা কদর রয়েছে ফেসবুকে। কোনও গেম কীভাবে খেলতে হবে তার বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে গেমকেন্দ্রিক মিউজিক ভিডিওগুলোর রয়েছে আলাদা জনপ্রিয়তা।এক পেজে ২৫ হাজার গেমিং পোর্টালের তথ্য সমন্বয় করবে ইউটিউব গেমিং।/এনএস/এইচএএইচ/
আপনার কি ব্যক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট অাছে? আপনার সাইটের কনটেন্ট গুগলে খুঁজলে লাখ লাখ অাইটেমের মধ্যে হারিয়ে যায়?
তথ্যপ্রযুক্তি, প্রযুক্তি নিউজ
১৫ অক্টোবর ২০১৫, ১৩:৫৬
আপনার কি ব্যক্তিগত ব্লগ বা ওয়েবসাইট অাছে? আপনার সাইটের কনটেন্ট গুগলে খুঁজলে লাখ লাখ অাইটেমের মধ্যে হারিয়ে যায়?ধরুন, আপনি অন্তত ৩০টি ওয়েবসাইটে একটি বিষয়ে আর্টিকেল ছেপেছেন। কিন্তু আপনার আর্টিকেলটি চলে যায় গুগলের দ্বিতীয় বা তৃতীয় পাতায়। আপনি জানেন না কীভাবে গুগলের প্রথম পাতায় জায়গা করে নিতে হবে।প্রকৃতপক্ষে কোন কনটেন্টটি আগে দেখাবে, কোনটি পরে দেখাবে এই প্রক্রিয়ায় গুগল অত্যন্ত জটিল গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। কিন্তু কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে আপনার কাজটি কিছুটা সহজ হয়ে যায়।× কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করা× গুগল প্লাসে সক্রিয় হওয়া× গুগল রিভিউ× কি-ওয়ার্ড ব্যবহার× লেখার মান বজায় রাখা× মৌলিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি ব্যবহারডোমেইন নাম: তেমন কোনও প্রভাব না থাকলেও সার্চ ইঞ্জিনে যত সহজ ডোমেইন নাম হবে ততই ভালো। সহজ ডোমেইন নাম ব্যবহার করুন। সাবডোমেইন ব্যবহার না করে নিজের ওয়েবসাইট ব্যবহার শুরু করুন এবং সহজ ডোমেইন নাম নিন।মান বজায় রাখুন: গুগলের কাছে গুরুত্ব পেতে হলে আপনার ওয়েবসাইটকে হতে হবে খুবই মানসম্পন্ন। পেশাদার ডিজাইনারদের দিয়ে ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করান। সাইটের বিষয়বস্তুতে যত্নশীল থাকুন। কারণ অতিরিক্ত ব্যাকরণিক ভুল গুগল পছন্দ করে না। অতিরিক্ত ভুলের কারণে আপনার সাইটটিকে গুগল নিজেদের র‌্যাংকিং পদ্ধতি থেকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারে।লেখার ক্ষেত্রে কপি-পেস্ট বর্জন করুন। যার কাছ থেকে কপি করেছেন তার নাগালের বাইরে থাকলেও আপনি গুগলের হাত থেকে বাঁচতে পারবেন না। আপনার লেখাটি মৌলিক কি না গুগল তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরূপণ করতে পারে এবং এতে আপনার সাইটটি চিরস্থায়ীভাবে গুগলের সদয় দৃষ্টি বঞ্চিত হতে পারে।কেমন ছবি দিবেন: লেখার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি নিশ্চিত করুন। ছবির একটি নাম ব্যবহার করুন যা আপনার লেখার বিষয়বস্তুর সঙ্গে খাপ খায়। এক্ষেত্রে ছবির মানও একটি বিষয় বটে। ভালো মানের সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি ব্যবহার করুন। গুগল এটি খুব পছন্দ করে। ছবি চুরি করতে যাবেন না। এতে র‌্যাংকিং-এ মার খেয়ে যেতে পারেন।কি-ওয়ার্ডের ব্যবহার: সার্চ ইঞ্জিনে কি-ওয়ার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার লেখায় বহুল প্রচলিত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি চলমান বিষয়গুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে লিখছেন। প্রয়োজনে জেনে নিন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চলমান কি-ওয়ার্ড কী কী। লেখাতে কি-ওয়ার্ডের ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব যত্নশীল থাকুন।অসঙ্গতিপূর্ণ কি-ওয়ার্ড দিয়ে ভরে ফেলবেন না। লেখার হেডলাইনে ব্যবহার করুন; বডিতে কয়েকবার থাকা চাই। বেশি ব্যবহার করতে কি-ওয়ার্ড ফ্লাডিং -এর দায়ে গুগল আপনাকে র‌্যাংকিং থেকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।ব্যাকলিংক: গুগল র‌্যাংকিং-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ব্যাকলিংক। ব্যাকলিংক হচ্ছে এমন একটি লিংক যেটি আপনাকে একটি সাইট থেকে নিজের সাইটে নিয়ে আসবে। এক রকম বাড়ি ফেরার ঠিকানা বা রাস্তার মতো।আপনি কোনও একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি আর্টিকেলে আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয় দিয়ে আসাটাই হচ্ছে ব্যাকলিংক বিল্ডিং। আপনি যে লিংকটি দিয়ে আসলেন সেটিই ওই ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ফিরে আসার ব্যাকলিংক হিসেবে কাজ করবে। তবে ব্যাকলিংক দেওয়ার জন্য কমেন্ট সেকশনে ফ্লাডিং করলে গুগল আপনাকে ধরে ফেলতে পারে।জেনে রাখুন, আপনি গুগলকে ফাঁকি দিতে পারবেন না। কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করুন।নো-ফলো বা ফলো ব্যাকলিংক যা-ই ব্যবহার করুন না কেন আপনি ভালো ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপনার লিংক স্থাপন করেছেন এটা নিশ্চিত করুন। নো-ফলো ব্যাকলিংক হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের লিংকটি লুকানো থাকবে। ফলো ব্যাকলিংক হচ্ছে আপনি যেখানে লিংকটি দিয়ে আসলেন যেখানে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে সোজা আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে। নো-ফলো ব্যাকলিংক থেকে ফলো ব্যাকলিংক গুগল র‍্যাংকে সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি আপনি বাড়তি ভিজিটরও পেতে পারেন। তবে নো-ফলো ব্যাকলিংক দিতে হলে আপনাকে আর্টিকেলের মধ্যে কোনও একটি কি-ওয়ার্ডের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে ছোট্ট রিলেশন (নো-ফলো) কোড লিখে দিতে হবে।প্রসঙ্গত, আপনার আর্টিকেলে কোনও ওয়েবসাইটের হাইপারলিংক ব্যবহার করাটা ওই ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক হিসেবে কাজ করে। তাই অনেকে লেখা ধার নিয়ে কার্টেসিতে ওয়েবসাইটের নাম লিখলেও লিংকটি দেন না। গুগল এটি ধরতে না পারলেও লেখা কপি পেস্ট নীতিতে আপনাকে ঠিকই ধরে ফেলবে।কোয়ালিটি ব্যাকলিংকের জন্য ফোরামগুলোতে সক্রিয় হন। মানসম্পন্ন ব্লগগুলোর নিয়মিত পাঠক হোন। কমেন্ট করুন। আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়াশীল হতে হবে। তবে ইদানিং ব্যাকলিংক তৈরি করা সহজ হয়ে গেছে। যেসব ফোরামে আপনি ব্যবহারকারী হিসেবে লাইক করতে পারেন সেগুলোতে একেকটি লাইক একেকটি ব্যাকলিংক হিসেবে কাজ করবে।গুগল পেজ র‌্যাংক এভাবেই তৈরি হয় এবং আপনার পেজ র‌্যাংক যত বেশি গুগলের কাছে আপনার গুরুত্বও ঠিক ততই বেশি।গুগলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ান: গুগলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ান। গুগলের সঙ্গে সম্পর্কিত সব ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক বাড়ান। গুগল প্লাসে সক্রিয় থাকুন। ইউটিউবে আপনার ভিডিও আপলোড করুন। ক্যাপশনে আপনার ওয়েবসাইটের লিংকটি দিতে ভুলবেন না যেন। গুগলের পণ্য ব্যবহার করলে গুগল খুশি হবে এটাই স্বাভাবিক।ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ: আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহারকারীর রিভিউ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গুগল এই বিষয়টি খুব পছন্দ করে। গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়ে ব্যবহারকারী তার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে পারে। এতে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার বাড়তি সুবিধা মিলবে।রিভিউ লিখতে আপনি গুগল প্লাস প্রোফাইলের 'লোকাল' অপশনে গিয়ে কোন বিষয়ে রিভিউ লিখবেন তা লিখে খুঁজুন এবং 'কলম' এর মত আইকনটিকে ক্লিক করে রিভিউ লিখুন। আপনি এখানে রেটিংও করতে পারেন। এক তারা থেকে পাঁচ তারা পর্যন্ত।এই রেটিংগুলো সাইটের মান নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।/এইচএএইচ/
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হচ্ছে
তথ্যপ্রযুক্তি, প্রযুক্তি নিউজ
১৪ অক্টোবর ২০১৪, ১৬:০৮
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় দৈনিক পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে 'ডিজিটাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপন প্রধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।'কিছুদিন আগ সিটি ব্যাংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সেবার কথা ছড়িয়ে দিতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সির সহায়তা নিয়েছে। এমন উদাহরণের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল মিডিয়া এখন জনপ্রিয় এবং অপরিহার্য মাধ্যম।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশাল জনপ্রিয়তাকে ব্যবসায়িক কাজে লাগাচ্ছে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। ভাচুর্য়াল বাজারের ক্রেতা ধরতে তৎপর হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পণ্যের বিপণনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মাধ্যমটি হয়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় ভার্চুয়াল বাজার। প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি জনবল ফুলটাইম ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করছেন।সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের আগে শুধু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন এদিকে নজর বাড়ছে বড় কোম্পানিগুলোর।এ মাধ্যমের প্রসার বাড়তে থাকায় এই সেবাদাতার সংখ্যাও বাড়ছে। তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও স্বল্প সময়ে অনেক বেড়েছে।তেমন একটি প্রতিষ্ঠানে এরিনাফোন বিডি লিমিটেড ভার্চুয়াল বিপণন সেবা দিচ্ছে http://www.ad65.com/ এর মাধ্যমে।দেশের নামকরা প্রতিষ্টানগুলো তাদের পণ্যের পোর্টফোলিওসহ প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং করতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা। আর এতে ফেইসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো যেন ভার্চুয়াল বাজারে পরিণত হচ্ছে। সম্প্রতি দেশে শীর্ষ এ মাধ্যমটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা কোটির পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডিজিটাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে।ডিজিটাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন সংস্থাদের মতে, ছোট ও বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের প্রসারের জন্য এদিকে ঝুঁকছে। এমনকি পাড়ার একটি ক্লাবের কার্যক্রম প্রচারে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করতে দেখা গেছে।মূলত সব শ্রেণীর গ্রাহকের কাছে খুব দ্রত পৌঁছতে প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন মার্কেটিং করছে এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।বর্তমানে অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম যেমন পত্রিকা, টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ফেইসবুক, টুইটার, গুগলসহ অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়ায় কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন অনেক সহজ এবং কম খরচে দেওয়া যায়। তা ছাড়া এর মাধ্যমে কাঙ্খিত গ্রাহকের কাছেও খুব সহজেই পৌঁছতে পারে প্রতিষ্ঠানগুলো।এক জরিপে দেখা যায়, ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ফেসবুকে পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো। তবে দেশের টেলিকম অপারেটরগুলো এখন পর্যন্ত ডিজিটাল মার্কটিংয়ে এগিয়ে রয়েছে।দেশে এখন ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বেশি। তাই এটিই এখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রধান ক্ষেত্র। তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ডিজিটাল মার্কেটিং এ মাধ্যমে হয়ে থাকে।মাঝারি এবং ছোট ব্যবসায় অনলাইন মাধ্যম হতে পারে ব্যবসা সফলে সবচেয়ে সক্রিয় মাধ্যম।এভাবেই অনলাইনে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ও ক্রেতা চাহিদা তৈরি এবং পণ্য ও সেবার বিপণনের ভবিষ্যৎ। ফলে উদীয়মান অনলাইন সুপার মার্কেটের নিয়ন্ত্রক হতে গুগল এখন সুদীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।এরিনাফোন বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বি বললেন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচলিত মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিংয়েও বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। দেশে চার কোটির ওপর ইন্টারনেট এবং ১১ কোটির বেশি মোবাইলফোন ব্যবহারকারী থাকায় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন পণ্যের খবর, মার্কেটিং ইত্যাদিতে মাধ্যম হিসেবে ডিজিটাল বা নিউ মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। ফলে এ মাধ্যমটি হালে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।/এইচএএইচ/
ফ্রিল্যান্সিংয়ে হাতেখড়ি
তথ্যপ্রযুক্তি, প্রযুক্তি নিউজ
১১ মে ২০১৪, ১৬:৫৪
নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ করানো হলো আউটসোর্সিং। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তারাই হলেন ফ্রিল্যান্সার। এর অর্থ মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিং সাইটের কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা, লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা, বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসা-সেবাসহ আরো অনেক কিছু। আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে ইন্টারনেটে। গুগলে গিয়ে খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। আউটসোর্সিংয়ের ভুয়া সাইটও আছে ইন্টারনেটে। এ বিষয়ে নবীন ফ্রিল্যান্সারদের সতর্ক থাকা জরুরি। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইট হলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট হলো ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার এবং ইল্যান্স ডট কম। এসব সাইটে গেলে নবীন ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিং কাজের বিষয়ে একটা পরিস্কার ধারণা পাবেন। আজ কাজ করার বিনিময়ে ফ্রিল্যান্স্যার আয় করবেন বৈদেশকি মুদ্রা। বর্তমানে ৪-৫টি আন্তর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে ইন্টারনেটে। মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রতিটিতেই একটি কমন বিষয় থাকে, ভালো একটি প্রোফাইল তৈরি করা। অনলাইন মার্কেটপ্লেসেও প্রোফাইল দেখেই ক্লায়েন্ট বিবেচনা করবে আপনি কাজ পাওয়ার যোগ্য না অযোগ্য। এ কারণে প্রোফাইলকে যতটা সম্ভব আকর্ষণীয় করে তৈরি করতে হবে। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ভালো কাজ পেতে সুবিধা হবে। ইল্যান্স ডট কমে বিনামূল্যে অসংখ্যবার স্কিল টেস্ট দেয়া যায়। স্কিল টেস্ট দেয়া থাকলে ক্লায়েন্ট বুঝবে যে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নতুন অথবা অভিজ্ঞ। প্রোফাইলে আগে কী কী কাজ করেছেন তার একটি তালিকা, যেমন নিজের তৈরি লোগো, ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট, ইউনিভার্সিটিতে তৈরি কোনো প্রেজেন্টেশন, কোনো সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা ইমেজ দেয়া যেতে পারে। এবার মাঠে নেমে পড়ুন। হয়ে উঠুন ফ্রিল্যান্সার।
বৃহস্পতিবার জামায়াতের বিক্ষোভ
রাজনীতি
২৪ নভেম্বর ২০১৫, ২১:৪৮
২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েই জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যা করছে এবং ঠাণ্ডা মাথায় সারাদেশে নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম ও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের জেলখানায় পাঠিয়েছে।’শফিকুর বলেন, জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতনের কারণে স্বৈরশাসনের পতন ঘটবে। জালেম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানান  তিনি।/এসটিএস/এফএ/
জামায়াতে ইসলামী