news_link
stringlengths 42
523
| head_lines
stringlengths 2
121
| article
stringlengths 1
58.1k
| tags
stringlengths 1
285
⌀ | image_caption
stringlengths 1
1.86k
⌀ | category
stringclasses 13
values |
---|---|---|---|---|---|
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/দুই-চেয়ারম্যান-প্রার্থীর-সমর্থকদের-মধ্যে-পাল্টাপাল্টি-হামলা-আহত-৬ | দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৬ | কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও 'বিদ্রোহী'চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ছয়জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিলাইদহ ইউপিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন খান। তিনি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন গাজী হাসান তারেক (মোটরসাইকেল)। তিনি উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাত নয়টার দিকে মির্জাপুর বাজারে গাজী হাসানের সমর্থকেরা একটি মিছিল বের করেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী সালাউদ্দিনের কর্মীরাও ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। নৌকার কর্মীরা এ সময় গাজী হাসানকে নিয়ে আপত্তিকর স্লোগান দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও গাজী হাসানের সমর্থক রাইসুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে নৌকা প্রার্থীর ৬০ থেকে ৭০ জন কর্মী-সমর্থক মির্জাপুর বাজার এলাকায় তাঁদের বাড়ি ও গাজী হাসানের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় তিনি (রাইসুল) ও তাঁর পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন ও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হন। তাঁরা হলেন রাইসুল ইসলাম, তাঁর বাবা আবদুল করিম ও মা হাসিনা খাতুন এবং নৌকা প্রার্থীর কর্মী ওবাইদুর রহমান, মাসুদ ও শান্ত। স্থানীয় লোকজন জানান, সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ নিজ নিজ এলাকার মির্জাপুর, বেলঘুড়িয়া, আড়াপাড়া ও নাউতি পূর্বপাড়ার মসজিদে ঘোষণা দেন তাঁদের প্রার্থী মির্জাপুর এলাকায় আটকা পড়েছেন। তখন গ্রামের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানে চলে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গাজী হাসান বলেন, 'নৌকার প্রার্থী উপস্থিত থেকে পুলিশের সহযোগিতায় আমার অফিস ও কর্মী রাইসুলের পরিবারের ওপর হামলা করেছে। প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করছে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হবে।' অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাউদ্দিন খান জানান, রাতে তাঁর কর্মীরা ভোট চাইতে গিয়েছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা তাঁর লোকদের ওপর হামলা চালান। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে, তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনার আগে বা পরে ঘটনাস্থলে তিনি যাননি। তাঁর লোকদের মারধর করে আটকে রাখা হয়েছিল। প্রশাসনের কর্মকর্তা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। রাতে খবর পেয়ে পুলিশ পরিবেশ শান্ত করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি। | কুমারখালী,ইউপি নির্বাচন,খুলনা বিভাগ,কুষ্টিয়া,আওয়ামী লীগ | কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মির্জাপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/07/13/%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%9a%e0%a7%8d/ | কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে ইডেন গার্ডেন | বৈশ্বিক মহামারি করোনায় কাঁপছে পূরো ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই প্রায় ২৮ হাজার করে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০০। আর তাইতো ১৩ জুলাই (সোমবার) থেকে পুলিশ কর্মীদের জন্য তড়িঘড়ি সেখানে গড়ে উঠতে চলেছে অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের কলকাতা ইডেনকে আগেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে দেয়ার কথা বলেছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। এতদিন প্রয়োজন না পড়ায় সেই সিদ্ধান্ত নেননি প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। একের পর এক পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন কলকাতায়। তাই তাদের জন্য বড় কোয়ারানটিন সেন্টার জরুরি হয়ে পড়েছিল। সেই কোয়ারানটিন সেন্টার এবার তৈরি হচ্ছে ইডেনে। ইডেনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে ১১ জুলাই (শনিবার) ছয় মাঠকর্মীকে ডরমেটারিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্য কর্মীদের ইডেনের বি ও সি ব্লকে অস্থায়ীভাবে রাখা হচ্ছে। সিএবি-ই তাদের খাওয়া থাকার দায়িত্ব নিয়েছে। মুম্বইয়ে করোনা প্রকোপ বাড়ায় ওয়াংখেড়েতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পরিকল্পনা হলেও শেষমুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। এরপর বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হতে চলেছে। তবে সেই কাজ এখনো শুরু হয়নি। ফলে স্টেডিয়াম হিসেবে ঐতিহ্যের ইডেনেই সম্ভবত প্রথম করোনা সেন্টার বসতে চলেছে। জানা গেছে, ইডেনের হাই কোর্ট প্রান্তের চারটি গ্যালারির নীচে ই, এফ, জি, এইচ ব্লকের ফাঁকা জায়গা আপাতত ব্যবহার করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে আরো জায়গার প্রয়োজন হলে জে ব্লক ব্যবহার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এর আগে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে ১২০ আসনের কোয়ারানটিন সেন্টার গড়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের কর্মীদের জন্যে। সেখানে আর জায়গা ফাঁকা নেই। এরপর রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কোয়ারানটিন সেন্টার গড়তে চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু প্রাতঃভ্রমণকারীরা তাতে আপত্তি জানায়। ফলে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। এরপরই তড়িঘড়ি সিএববি-র কাছে কোয়ারানটিন সেন্টার গড়তে চেয়ে আর্জি জানায় কলকাতা পুলিশ। তাতে সায়ও দিয়েছে সিএবি। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৪ জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশেরই ৫৪০ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড ১৯-এ। যার মধ্যে এখন অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ১২৫। লকডাউন-সহ করোনার গোটা পর্যায়ে দিনরাতে পথে নেমে কাজ করতে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। | null | ইডেন গার্ডেন | sports |
https://www.prothomalo.com/world/asia/আবারও-ক্ষেপণাস্ত্র-ছুড়েছে-উত্তর-কোরিয়া-দাবি-সিউলের | আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া, দাবি সিউলের | দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, আজ রোববার আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে চলতি মাসে সপ্তমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল দেশটি। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির। আজ সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইস্ট সি (জাপান সাগর) লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে এ ক্ষেপণাস্ত্রের ধরন চিহ্নিত করতে পারেনি তারা। জাপানের কোস্টগার্ড বলছে, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। চলতি মাসে তারা মোট সাতটি পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৫ ও ১১ জানুয়ারিতে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হাইপারসনিক ছিল বলে জানিয়েছে দেশটি। এক মাসে উত্তর কোরিয়ার বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর ঘটনাগুলোর একটি এটি। এর আগে সবশেষ ২০১৯ সালে এক মাসে সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল দেশটি। দেশটির নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর তখন অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল পিয়ংইয়ং। ২০১৭ সাল থেকে আন্ত-উপমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা স্থগিত রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তিনটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠককে কেন্দ্র করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রেখেছিল তারা। তবে চলতি মাসে উত্তর কোরীয় সরকার আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করার ইঙ্গিত দেয়। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণ নীতিমালাকে দায়ী করে দেশটি। এমন সময়ে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে, যখন কিনা আঞ্চলিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। কিমের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনে আগামী মাসে উইন্টার অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত নেতা কিম জং-ইলের ৮০তম জন্মবার্ষিকী এবং এপ্রিলে দেশের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাংয়ের ১১০তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং করোনাজনিত স্ব-আরোপিত অবরোধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিকভাবে সংকটের মধ্যে আছে উত্তর কোরিয়া। দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। সম্প্রতি পিয়ংইয়ং প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে নতুন করে আন্তসীমান্ত বাণিজ্য শুরু করেছে। সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নতুন নিষেধাজ্ঞার একটি উদ্যোগ ঠেকিয়ে দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। | উত্তর কোরিয়া,ক্ষেপণাস্ত্র,দক্ষিণ কোরিয়া | উত্তর কোরিয়া চলতি মাসে ছয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে | international |
https://www.ajkerpatrika.com/69159/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87 | লালপুরের শুঁটকি যাচ্ছে ভারতে | দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারতে ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের চ্যাপাসহ বিভিন্ন শুঁটকি।এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভারতবর্ষের ত্রিপুরা রাজ্যের অধীনে ছিল। এ জেলায় বসবাসকারী অনেক পরিবারেরই এখনো ত্রিপুরায় আত্মীয়স্বজন রয়েছে। এই সুবাদে বিভিন্ন সময় যাতায়াত হয় দুই দেশের মানুষের।প্রথমে স্বজনদের মাধ্যমে মেঘনা ও তিতাস নদীর মিঠা পানির মাছের শুঁটকি নেওয়া হয় ভারতে। পরে ওপার বাংলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এ শুঁটকি। একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরাও বাণিজ্যিকভাবে ভারতে শুঁটকি পাঠাতে শুরু করেন।বর্তমানে ভারত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই শুঁটকি। এ সব দেশেও লালপুরের শুঁটকি রপ্তানি করা হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এই এলাকার মানুষের জন্য মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি তৈরি করা সহজ হয়ে উঠেছে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার নারী-পুরুষের।এ ছাড়া এখানকার শুঁটকির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা থাকে স্থানীয় বাজারে। এর ফলে বাজারে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।এ এলাকার সাধারণ মানুষজন ছাড়াও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং যুবকদের বড় একটা অংশ এখন নানাভাবে যুক্ত আছেন শুঁটকি ব্যবসার সঙ্গে।জানা গেছে, কয়েক দশক আগে ৮ থেকে ১০টি মাচা (ডাঙ্গি) নিয়ে লালপুরের শুঁটকি পল্লির যাত্রা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে তা এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। ঐতিহ্যবাহী লালপুর বাজারের দক্ষিণ দিকে নদীর তীরে সারি সারি মাচা। ছোটবড় মিলিয়ে তিন শতাধিক মাচা রয়েছে।শুঁটকি পল্লিতে প্রক্রিয়াজাত শুঁটকির মধ্যে অন্যতম চ্যাপা (সিঁদল) শুঁটকি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতে অনেক জনপ্রিয়। তবে এখানকার চ্যাপা ছাড়াও ১২ থেকে ১৫ প্রজাতির শুঁটকি পাওয়া যায়। যেগুলো সাধারণত তিতাস ও মেঘনা নদীর মাছ শুকিয়ে করা হয়।ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা ভাল হলে প্রতি মৌসুমে গড়ে ২৫-৩০ কোটি টাকার শুঁটকি ভারতে রপ্তানি হয়। যা থেকে বাংলাদেশের ৫-৭ কোটি টাকার ব্যবসা হয় বলে জানান অনেকে।লালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, '১৯৯৪ সাল থেকে আমি এ ব্যবসা করি। আমার আরও ব্যবসা আছে। তবে শুঁটকির ব্যবসাটাই প্রধান। তবে এখানকার কোনো ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না। সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে সারা দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও আমরা বড়সড় ভূমিকা রাখতে পারব।'ভারতের আগরতলায় শুঁটকি রপ্তানির বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার বলেন, তিনি নিজেও ওখানে শুঁটকি পাঠান। ওখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আছে। ওখান থেকে পাঠানো চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে শুঁটকি পাঠানো হয়।আরেক ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র বলেন, 'বাবার পর শুঁটকি ব্যবসার হাল ধরেছি। গত বছর আমাদের ব্যবসা অনেক খারাপ গেছে। তারপরও আমরা এবারের মৌসুমের দিকে তাকিয়ে আছি।'ব্যবসায়ী তফসির আহমেদ বলেন, 'আমি অনেক দিন থেকে কারবারির চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুঁটকি পাঠাই। সবকিছুই আমরা নিজেরা করি। সরকারি অথবা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে হয়তো আরও বড় আকারে ব্যবসাটা করতে পারতাম।' | আশুগঞ্জ,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,চট্টগ্রাম চাঁদপুর | মাচায় মাছ শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুঁটকি। টি সম্প্রতি লালপুরের শুঁটকি পল্লি থেকে | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/07/26/%e0%a6%8f%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%a8%e0%a6%b8-%e0%a6%b2%e0%a6%bf/ | এমবাপ্পের চ্যাম্পিয়নস লিগ অনিশ্চিত | শুক্রবার ফরাসি কাপের ফাইনালে বড় ধরনের চোট পাওয়ার পর নতুন সংশয় তৈরি হয়েছে ফ্রান্সের পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে। আতালান্তার বিপক্ষে ১২ আগস্ট চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। বাজেভাবে চোট পাওয়ায় ওই ম্যাচ তিনি খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে নতুন সংশয়। গোড়ালির লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার ভয় ছিল তার। তবে যতটুকু লেগেছে তাতে ম্যাচ খেলার যথেষ্ট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিএসজির ১-০ গোলে জেতা ম্যাচটিতে ২৮ মিনিটে লোয়িচ পেরিনের বাজে ফাউলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এমবাপে। যন্ত্রণায় ভুগতে দেখা যায় তাকে। ম্যাচ শেষে অবশ্য ক্রাচে ভর দিয়ে দলের শিরোপা উৎসবে যোগ দেন এমবাপে। পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার ডান পায়ের গোড়ালির চোট যতটা ভীতিকর ভাবা হয়েছিল, ততটা নয়। বাজে ট্যাকলের কারণে তার লিগামেন্টের অবশ্য কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে মচকে গেছে। এই চোটের কারণে তাকে ক্রাচে ভর দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে। একই সঙ্গে গোড়ালিতে প্লাস্টিকের বর্ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তার চোটের আরও পরীক্ষা করা হবে। এই অবস্থায় শুক্রবার লিগ কাপে তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের আগে তিনি কত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। | ইনজুরি,এমবাপ্পে,খেলা,ফুটবল | এমবাপ্পে | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/147936/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81 | ইউক্রেনে বিমান হামলায় ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু | ইউক্রেনের খারখিভ শহরে রুশ বাহিনীর বোমা হামলায় নবীন শেখরপ্পা নামে ভারতীয় এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ইউক্রেনে মেডিকেল শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি ভারতের কর্ণাটকের হাভেরীতে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।খারখিভে শিক্ষার্থীদের কো-অর্ডিনেটর পূজা প্রহারাজ এনডিটিভিকে বলেছেন, 'প্রবীন খারখিভের গভর্নর হাউসের পাশে থাকত। সে খাবারের জন্য একটি লাইনে দাঁড়িয়েছিল। ওই সময় হঠাৎ গভর্নর হাউসে বিমান হামলায় সেটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং নবীন মারা যায়।'পূজা প্রহারাজ বলেন, বিস্ফোরণের পর নবীনকে কল করা হলে, একজন ইউক্রেনীয় নারী নবীনের ফোন থেকে কল রিসিভ করে বলেন, এই ফোনটির মালিককে মর্গে পাঠানো হয়েছে।এদিকে মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় দূতাবাস শিক্ষার্থীসহ সব ভারতীয় নাগরিককে যেকোনোভাবে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ত্যাগ করার অনুরোধ জানিয়েছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় এক শিক্ষার্থী ইউক্রেনের খারখিভে বোমা হামলায় মারা গেছে। মন্ত্রণালয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।টুইটে আরও বলা হয়েছে, যেসব ভারতীয় নাগরিকেরা এখনো ইউক্রেনের খারকিভ এবং অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের শহরগুলিতে রয়েছেন, তাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের ডেকেছেন। | ভারত,ইউরোপ,এশিয়া,মৃত্যু,শিক্ষার্থী,যুদ্ধ,ইউক্রেন,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট | নিহত শিক্ষার্থী নবীন শেখরপ্পা। এনডিটিভির সৌজন্যে | international |
https://www.dailynayadiganta.com/chattagram/374032/গভীর-রাতে-থানার-সামনে-বসে-একজন-বীর-প্রতীকের-প্রতিবাদ | গভীর রাতে থানার সামনে বসে একজন 'বীর প্রতীকের' প্রতিবাদ | ১৯৭১ সালে এই ডিসেম্বর মাসেই দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলেন। দেশের টানে অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। সেই তিনিই তীব্র শীতের কনকনে ঠান্ডায় থানার সামনে বসে প্রতিবাদ জানান। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী শোয়েব মোর্শেদ ফারুকী আটক করেছে পুলিশ। ফারুকীকে আটকের প্রতিবাদে থানার সামনে বুধবার রাত ৩টা পর্যন্ত বসে প্রতিবাদ জানান তিনি। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার কামালপাড়া থেকে শোয়েব মোর্শেদকে আটক করা হয়। নিজের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারীকে আটকের খবর পেয়ে থানায় ছুটে যান সৈয়দ ইবরাহিম। থানার সামনে তিনি অবস্থান নেন। কনকনে শীতের মধ্যেও রাত ৩টা পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান ২০ দলীয় ঐক্যজোটের শরীক কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সৈয়দ ইবরাহিম রাত ১১টায় থানার মূল ফটকে অবস্থান নেন। থানার ওসির কাছে জানতে চান আমার নিরাপরাধ সহকর্মীকে কেন আটক করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও পুলিশ তা উপেক্ষা করে চলছে। কোনো ধরনের মামলা ও অভিযোগ না থাকার পরও তার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী শোয়েব মোর্শেদ ফারুকীকে আটক করেছে পুলিশ। | সৈয়দ ইবরাহিম,প্রতিবাদ | রাত ৩টা পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান করেন সৈয়দ ইবরাহিম বীর প্রতীক। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/172873/%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%B2 | আজকের রাশিফল | মেষ(২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আজ হঠাৎ করেই হাতে টাকাপয়সা চলে আসতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। রোমান্স ও বিনোদন শুভ। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।বৃষ(২১ এপ্রিল-২১ মে)বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।মিথুন(২২ মে-২১ জুন)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। চাকরিতে কারও কারও কর্মস্থল পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। আর্থিক লেনদেন শুভ। পরকীয়ার অপবাদ ঘুচতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন।কর্কট(২২ জুন-২২ জুলাই)চাকরিতে কারও কারও বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসানে আপনার উদ্যোগ ফলপ্রসূ হতে পারে। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। দূরের যাত্রা শুভ।সিংহ(২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)বেকারদের কেউ কেউ আজ নতুন কাজের সন্ধান পাবেন। যৌথ কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। আজ হঠাৎ করেই হাতে টাকাপয়সা চলে আসতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য আজ সুখবর আছে।কন্যা(২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)কর্মস্থলে আজ আপনার কর্মদক্ষতার যথাযথ মূল্যায়ন হতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। প্রেমিক-প্রেমিকার মনের আকাশে জমে থাকা কালো মেঘ আজ দূর হতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।তুলা(২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। নতুন চাকরিতে কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন। আর্থিক লেনদেন শুভ। প্রেমের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সাড়া পাবেন। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।বৃশ্চিক(২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)বিদেশযাত্রায় প্রবাসী আত্মীয়ের সহায়তা পেতে পারেন। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। প্রেমবিষয়ক জটিলতার অবসান হবে। যাবতীয় কেনাকাটা শুভ।ধনু(২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)ফাটকা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।মকর(২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)শিক্ষা কিংবা গবেষণায় অবদানের জন্য বিদেশ থেকে সম্মাননা পেতে পারেন। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। চাকরিতে কারও কারও পদোন্নতির সম্ভাবনা আছে।কুম্ভ(২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)শিল্পকলা কিংবা সাহিত্যকর্মের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। পেশাগত দ্বন্দ্বের অবসান হবে।মীন(১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)বেকারদের কারও কারও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। সৃজনশীল পেশায় আপনার সুনাম ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য আজ সুখবর আছে। | জীবনধারা,আজকের জীবন,ছাপা সংস্করণ,রাশিফল,আপনার রাশিফল | রাশিফল | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/06/03/655772 | খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর
| বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমকর্মীদের এই কথা জানান তিনি। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | বেগম খালেদা জিয়া | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2019/01/02/388936 | ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী নন: মিট রমনি | মিট রমনি, সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও ভাবী মার্কিন সিনেটর, পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন। মিট রমনির অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের দূরে ঠেলে দিয়েছেন ট্রাম্প এবং বিভক্ত আমেরিকাকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী নন তিনি। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক নিবন্ধে রমনিলিখেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির মানের অবনমন ঘটে গত ডিসেম্বরে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও হোয়াইট হাউজের প্রধান কর্মকর্তা জন কেলির পদত্যাগের জন্যও ট্রাম্পকে দোষারোপ করেন রমনি। মিট রমনি মিট রমনি আরও লিখেছেন, বড় বড় পদে অনভিজ্ঞদের নিয়োগ, মিত্রদের দূরে ঠেলে দেয়া যারা আমাদের পাশাপাশি লড়ছেন, এবং 'বিশ্বরাজনীতিতে আমেরিকা দীর্ঘ সময় ধরে প্রতারিত হয়ে আসছে'- প্রেসিডেন্টের এ ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত দাবি-ই তার প্রেসিডেন্সিকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। গত দুই বছরে তার আচরণ বিশেষ করে গত ডিসেম্বরে, এটার প্রমাণ দেয় যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালনের যোগ্য নন। সূত্র: গার্ডিয়ান বিডি প্রতিদিন/ফারজানা | null | ডোনাল্ড ট্রাম্প | international |
https://www.ajkerpatrika.com/117524/%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8 | ওমিক্রন বিস্তারের মধ্যেই ভারতে বিধানসভা নির্বাচন | ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই ভারতের পাঁচ রাজ্যে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আজ শনিবার ভারতের নির্বাচন কমিশন উত্তর প্রদেশ (ইউপি), উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর ও গোয়া রাজ্যে ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ভোট গ্রহণ পর্ব। পাঁচ রাজ্যের ভোটগ্রহণ শেষ হলে একসঙ্গে গণনা হবে ১০ মার্চ।উত্তর প্রদেশে সাত দফায় এবং মণিপুরে দুই দফায় ভোট হবে। পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড ও গোয়ায় ভোট হচ্ছে এক দফায়। নির্বাচন কমিশন কোভিড প্রোটোকল মেনে ভোটগ্রহণের কথা বললেও করোনা সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে মানুষকে মৃত্যু বা অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আর এটা হচ্ছে নেতাদের স্বার্থে।ভারতের পাঁচ রাজ্যে নেতাদের শক্তি পরীক্ষা। ১৮ কোটি ৩০ লাখ ভোটারের সরকার গঠনের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ের জন্য চরম মূল্য চোকাতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সংক্রমণ ২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি। উত্তর প্রদেশেই একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি এবং এই মুহূর্তে মোট পজিটিভ রোগী ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। ভোট প্রচারে মিটিং-মিছিল সংক্রমণকে আরও বাড়াতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশনের মতে, পাঁচ রাজ্যেই টিকা দান ৮০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। দুই ডোজ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরই ভোটের কাজে লাগানো হবে। ভিড় এড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে।পাঁচ রাজ্যের ভোটের তারিখ ঘোষণা হতেই গোটা দেশে রাজনৈতিক তৎপরতা এখন তুঙ্গে। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। আবার পাঞ্জাবে ক্ষমতা ধরে রেখে বাকি রাজ্যগুলোতে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে কংগ্রেসও সক্রিয়। আঞ্চলিক দলগুলোও ব্যস্ত নিজেদের নির্বাচনী ফায়দা তুলতে।তবে নির্বাচন কমিশন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দলগুলো আপাতত ভার্চ্যুয়াল প্রচারে ব্যস্ত। তবে মনোনয়ন পর্ব শুরু হলেই ভিড় বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। | ভারত,কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ,বিধানসভা নির্বাচন,কোভিড–১৯,ওমিক্রন | পাঁচ রাজ্যের ভোটের তারিখ ঘোষণা হতেই গোটা দেশে রাজনৈতিক তৎপরতা এখন তুঙ্গে। টুইটার | international |
https://www.ajkerpatrika.com/32545/%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF | পনেরো দিনে ২০ বাড়িতে চুরি | হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামে গত ১৫ দিনে লাগামহীন চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চুরি হওয়া মালামালসহ বাছির মিয়া (২০) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাছির মিয়া ওই গ্রামের বাসিন্দা। মাধবপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, বাছির মিয়ার স্বীকারোক্তিতে সেলিম মিয়া (৩৫) নামের আরেক যুবককে আটক করা হয়েছে। তিনিও একই গ্রামের বাসিন্দা।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত সোমবার রাতে সিঁধ কেটে ওই গ্রামের নূরুল ইসলামের ঘর থেকে একটি বাইসাইকেল, রফিক মিয়ার ঘর থেকে দুটি মোবাইল ফোন, রোকেয়া খাতুনের ঘর থেকে ৪২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন এবং রহিম মিয়ার ঘর থেকে মোবাইল ফোন চুরি হয়।এরপর গতকাল মঙ্গলবার ভোরে গ্রামের কয়েক ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তদের খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পাশের এক্তিয়ারপুর গ্রামের একটি রাস্তা দিয়ে সাইকেল কাঁধে বাছিরকে পালাতে দেখেন। এ সময় জনতা তাঁকে আটক করে। তখন তিনি চুরির ঘটনা স্বীকার করেন এবং তাঁর সহযোগী কয়েক ব্যক্তির নামও বলেছেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।মুজাহিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনায় তাঁর ছেলে আল আমিন মাধবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।ছাতিয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি) ও দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১৫ দিনে অন্তত ২০ বাড়িতে চুরি হয়েছে।মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, আটক হওয়া ব্যক্তিরা থানা হাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশের হাতে বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্তের নাম এসেছে। তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। | হবিগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,চুরি,ছাপা সংস্করণ,সিলেট সংস্করণ | পনেরো দিনে ২০ বাড়িতে চুরি | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/02/13/%e0%a6%a4%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8/ | তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করলেন মিরাজ | ব্যাট-বল হাতে টাইগার দলের তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের দাপট নতুন কিছু নয়। উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে শতকের পর দ্বিতীয় টেস্টেও দলের হাল ধরেছেন তিনি। এমনকি আজ তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। ঢাকা টেস্টে তৃতীয় দিন ধুকতে থাকা বাংলাদেশের হাল ধরেছেন দুই তরুণ ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মিরাজ। বিপদ মোকাবেলা করে উইকেট কামড়ে ধরে টেস্ট কীভাবে খেলতে হয় আজ তা শিখিয়ে দিলেন এই দুই ক্রিকেটার। এদিন মুশফিকের বিদায়ের পর যখন ফলোঅনের শঙ্কা জাগে ঠিক তখনই টাইগারদের ত্রাতা হয়ে আসেন লিটন ও মিরাজ। এই দুজন মিলে দুর্দান্ত খেলে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে দলকে ফলোঅনের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন। এমষৈ ৭ম উইকেটে একশ রানের জুটিও গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। এর আগে লিটন দাস তুলে নেন নিজের ৭ম টেস্ট অর্ধশতক। আর ছুঁয়ে ফেলেন টেস্টে এক হাজার রানের মাইলফলকও। এছাড়া আজ তৃতীয় দিন শুরুতে শুরুতে মিঠুন ফিরলেও উইকেটের অপরপ্রান্তে আগলে ছিলেন মুশফিক। অর্ধশতকপূর্ণ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ টাইগার। ফিরলেন ব্যক্তিগত ৫৪ রানেই। দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় কর্নওয়ালের বলে মেয়ার্সের হাতে বল তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৬ উইকেট খুইয়ে ২৭২রান তুলেছে। উইকেটে আছেন, লিটন ৬৬ এবং মিরাজ ৫৩ রান। উইন্ডিজের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ১৩৭ রানে। | null | হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। | sports |
https://samakal.com/whole-country/article/210252757/এক-বাড়িতেই-৭৩-মৌচাক | এক বাড়িতেই ৭৩ মৌচাক | পাবনা সদর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রওশন আলীর বাড়ি এখন যেন মৌমাছির অভয়াশ্রম। বাড়ির একটি দালান ও তার আশপাশে ৭৩টি মৌমাছির চাক বসেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, রওশন আলির দোতালা বাড়ির কার্নিশ, বাড়ান্দাসহ আশপাশের গাছপালায় মৌচাক। এসব চাক থেকে প্রতি মাসে মধু সংগ্রহ হচ্ছে কমপক্ষে দুই মণ। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গাছে এবং বাড়িতে মৌমাছি বসতে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু দালানে কিভাবে চাক বসে সে বিষয়ে গবেষণা চলছে। স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ বছর ধরে রওশন আলীর বাড়িতে এভাবেই বাসা বেঁধে আছে মৌমাছি। তবে এতগুলো মৌচাক আগে দেখা যায়নি। প্রতি বছর শীত এলেই এই বাড়িতে বাসা বাঁধে মৌমাছির দল। তবে এবারের মত এতগুলো মৌচাক আগে দেখা যায়নি। এক বাড়িতে এত চাক থাকলেও মৌমাছিগুলো কারো কোন ক্ষতি করে না। শ্রীপুর গ্রামের কিষান ফ্লাওয়ার মিলের শ্রমিক কালু মিয়া সমকালকে বলেন, আমরা সবসময় ওই পাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে মিলে যাওয়াআসা করি। কিন্তু মৌমাছি কখনোই আমাদের কামড়ায় না। গ্রামের আলহা্ব শহিদুল্লাহ বলেন, মৌমাছিগুলো খুবই শান্ত প্রকৃতির। গত ৫ বছর ধরে শীতের শেষে তারা এখানে আসে। আমরা তাদের অতিথি মনে করি। আমরাও তাদের বিরক্ত করি না; ওরাও আমাদের ক্ষতি করে না। বাড়ির মালিক রওশন আলী বলেন, প্রথমে ৬ থেকে ৭টি মৌচাক ছিল। এখন বাড়ির কার্নিশ বাড়ান্দাসহ সব জায়গা মিলে ৭৩টি মৌচাক বসেছে। আর এই মৌমাছি দেখতে মানুষ ভিড় জমায় বাড়িতে। প্রতিমাসে মধু সংগ্রহ হচ্ছে দুই মণ। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, পাবনার উপপরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গাছে এবং বাড়িতে মৌমাছি বসতে আকৃষ্ট হয়। তবে দালান বাড়িতে বসার কারণ জানতে গবেষণা চলছে। | মৌমাছি,মৌচাক | বাড়ির কার্নিশসহ সব জায়গায় মৌমাছি বাসা বেঁধেছে | national |
https://www.ajkerpatrika.com/8268/%E2%80%98%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87%E2%80%99 | '২০২৪ সালের মধ্যে বে-টার্মিনাল চাই' | করোনায় চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য কেমন চলছে? বিনিয়োগের কী সম্ভাবনা সামনে? সামনে কী চ্যালেঞ্জ আছে-এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।আজকের পত্রিকা: করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্য কেমন চলছে?মাহবুবুল আলম: করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হয়েছে সন্দেহ নেই। তবে সরকারের প্রণোদনার কারণে তা ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছে। না হলে মুখ থুবড়ে পড়ত সবকিছু। যদিও এই প্রণোদনা প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা পাননি। মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সুবিধা পেয়েছেন। তাতেও এ খাতের জন্য সহায়ক হয়েছে। না হলে ব্যবসায়ীরা ঋণখেলাপি হয়ে যেতেন। এই প্রণোদনার ফলে তাঁরা ঋণখেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন। মোটাদাগে করোনায় বেশির ভাগ ব্যবসা টিকে রয়েছে। আজকের পত্রিকা: চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের কী অবস্থা?মাহবুবুল আলম: চট্টগ্রাম যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে, সেখানেও এর ধাক্কা লেগেছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দোকানদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিমেন্ট, স্টিলসহ বেশ কিছু খাত ভালো আছে। তারা লোকসান বাড়তে দেয়নি। খাদ্যপণ্যের ব্যবসায় বড় লোকসান না হলেও খুব বেশি মুনাফাও করতে পারেনি। মানুষের আয় কমে যাওয়ায় ব্যবসায় গতি কমেছে।আজকের পত্রিকা: বিনিয়োগ পরিস্থিতি কেমন?মাহবুবুল আলম: এটা সত্য, দেশে এখন প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বা এফডিআই কম। তার পরও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সূত্রে যা জেনেছি, তা হলো দেশে ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসছে। তা বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরসহ বিভিন্ন জায়গায় যাবে। করোনার কারণে এখন কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আসছে না। টানেল ও শিল্পনগর তৈরি হয়ে গেলে পুরো চট্টগ্রামের ভৌগোলিক দিক থেকে বড় পরিবর্তন আসবে। এখানে এনার্জি হাব হবে। এলএনজি টার্মিনাল চট্টগ্রামে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। এখানে টুইন সিটি হবে। সড়কব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। তখন কক্সবাজারের দূরত্ব কমে যাবে। আশা করা যায় এখানে ৬০ থেকে ৭০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে।আজকের পত্রিকা: চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কতটা বাড়ল?মাহবুবুল আলম: দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এখানে এখন ৩০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। পতেঙ্গায় একটা টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে। যেভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে আরও জেটি তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জাহাজজট কমাতে হলে জেটি বাড়াতে হবে। আমার মনে হয়, তা ৬০টিতে উন্নীত করতে হবে।আজকের পত্রিকা: করোনা সহনীয় হলে চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে?মাহবুবুল আলম: করোনার পর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশকে। তখন অনেক সুবিধা উঠে যাবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। চীন-ভিয়েতনামের সঙ্গে শক্ত প্রতিযোগিতা করতে হবে। তাই জোর দিতে হবে মানবসম্পদে। বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। | করোনা,করোনাভাইরাস,চট্টগ্রাম বিভাগ,ব্যবসা–বাণিজ্য,সিসিসিআই | মাহবুবুল আলম | opinion |
https://www.ajkerpatrika.com/153049/%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%BE | বোরোর ভালো ফলনের আশা | বাগেরহাটের চিতলমারীতে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। স্থানীয় কৃষি দপ্তরের দাবি, এ বছর যেমন রোগ-বালাই কম, তেমনি নেই কোনো পোকার উপদ্রব। চাষিরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বেরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। আর এ ফলন ঘরে তুলতে পারলে ধান বিক্রি করে তাঁদের ধারদেনা মিটবে। মুখে হাসি ফুটবে।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ব্লকের সংখ্যা ২১টি। এর মধ্যে বড়বাড়িয়া ব্লকে ২ হাজার ৫০ একর, হাড়িয়ারঘোপে ২ হাজার ১০০ একর, মাছুয়ারকুতে ১ হাজার ২৩৫ একর, কলাতলায় ১ হাজার ২৯৬ একর, রহমতপুরে ১ হাজার ১৬১ একর, শৈলদাহতে ১ হাজার ২৮৪ একর, হিজলায় ১ হাজার ৩৩৩ একর, কুড়ালতলায় ১ হাজার ৩৩৪ একর, শান্তিপুরে ১ হাজার ১৯৮ একর, শিবপুরে ৬৬৭ একর, বড়বাকে ৬১৭ একর, কলিগাতিতে ৭৫৩ একর, চিতলমারী সদরে ২ হাজার ৮৭ একর, শ্রীরামপুরে ৩ হাজার ৩৪৭ একর, রায়গ্রামে ৩ হাজার ৯১৫ একর, চরবানিয়ারীতে ৮৬৫ একর, খড়মখালীতে ৯০৬ একর, চরডাকাতিয়ায় ৬৭২ একর, সন্তোষপুরে ৭৬৬ একর, দড়িউমাজুড়িতে ১ হাজার ১৯৮ একর ও কচুড়িয়া ব্লকে ৮১৫ একরসহ মোট ২৯ হাজার ৫৯০ দশমিক শূন্য ৬ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৯ হাজার ১৯৫ দশমিক ৪ একর জমিতে হাইব্রিড এবং ৩৯৫ দশমিক ২ একর জমিতে উফশী জাতের ধান চাষা হয়েছে।উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের কৃষক মো. ইউনুস আলী বিশ্বাস, খুদাড়ীর মো. রমজান তালুকদার, সুরসাইলের সুধাংশু মণ্ডল, সোহেব সুলতান সানু, কুরমনির বলরাম বিশ্বাস, বুদ্ধ বসু, খিলিগাতির বাবলু মণ্ডল, শ্রীরামপুরের তাপস ভক্ত ও খড়মখালীর পরিমল মজুমদারসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, এ বছর চাষিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধান চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও কারেন্ট (মৌয়া) পোকার আক্রমণ না হলে এ বছর বেরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। আর ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে ঘুচবে ধার-দেনা ও পাওনাদারদের তাড়া।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ বলেন, উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার কৃষক পরিবার রয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ৬৭৯ দশমিক ৬ একর বেশি বোরো চাষ হয়েছে। এ বছর খেতে যেমন রোগ-বালাই কম, তেমনি নেই কোনো পোকার উপদ্রব। তাই এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। | বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,চিতলমারী,ছাপা সংস্করণ,খুলনা সংস্করণ,খুলনা ৭ | বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের একটি বোরোখেত। গতকাল সকালে । | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/10/13/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%bf/ | করোনায় আক্রান্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো | করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রবিবার রাতে ইউরোপিয়ান নেশনস কাপের ম্যাচে ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল রোনালদোর পর্তুগাল। গোলশূন্য ড্র হওয়া ম্যাচটি শেষে করোনা পরীক্ষায় রোনালদোর শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব ধরা পড়ে। কাল সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলা হচ্ছে না পর্তুগিজ তারকার। আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য 'কোয়ারেন্টিন'-এ রয়েছেন রোনালদো। খবরটি নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন। এক বিবৃতিতে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, 'করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় রোনালদোকে জাতীয় দলের অনুশীলন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচটি তিনি খেলতে পারবেন না। পর্তুগিজ তারকা ভালো আছেন। শরীরে কোনো লক্ষণ নেই, আইসোলেশনে আছেন। তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর মঙ্গলবার বাকিদের নতুন করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবাই নেগেটিভ, ফার্নান্দো সান্তোসের অনুশীলনে থাকবেন সবাই।' ইতালিয়ান সিরি আ-তেও এ সপ্তাহে ক্রোটনের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলা হচ্ছে না জুভেন্টাস তারকার। ২০ অক্টোবর চ্যাম্পিয়নস লিগে ডায়নামো কিয়েভের মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। এ ম্যাচেও খেলতে পারবেন না রোনালদো। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন। | null | ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো | sports |
https://samakal.com/international/article/1509161409/হারাম-শরিফে-ক্রেন-ভেঙে-নিহত-৮৭ | হারাম শরিফে ক্রেন ভেঙে নিহত ৮৭ |
পবিত্র হজের প্রস্তুতি গ্রহণের মুহূর্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে। গতকাল শুক্রবার মসজিদ আল হারামে নির্মাণকাজ চলার সময় ক্রেন ভেঙে পড়ায় অন্তত ৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ শতাধিক মানুষ। আহতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন বাংলাদেশি আছেন বলে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে দেশের সিভিল ডিফেন্স প্রথমে টুইটারে দুর্ঘটনার কথা জানায়। সামাজিক গণ্যমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায় দুর্ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত দেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। পবিত্র হজ পালনের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ সৌদি আরবে সমবেত হওয়ার মুহূর্তে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটল। বিবিসি, এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানায়, ক্রেনটি ভেঙে মসজিদের ওপর পড়ে। ক্রেনের মূল অংশ খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। সাধারণত শুক্রবার মসজিদ আল হারামে অনেক মুসলি্ল সমবেত হন। মসজিদে বর্তমানে সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এর আয়তন চার লাখ বর্গমিটার করার লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। এতে মসজিদে একসঙ্গে ২২ লাখ মুসলি্ল ইবাদত করতে পারবেন। মসজিদের চারদিকে অনেক ক্রেন নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায় লাল রঙের ক্রেনটি ভেঙে কিছু অংশ মসজিদের ছাদে পড়ে আছে। এটি ভেঙে পড়ার কারণ জানা যায়নি। একজন প্রত্যক্ষদর্শী আলজাজিরা টেলিভিশনকে বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ক্রেনটি ভেঙে পড়ে। এর একটি অংশ মসজিদের তৃতীয় তলায় পড়েছে। এ সময় মসজিদে অনেক মুসলি্ল ছিলেন। মাগরিবের নামাজের জন্য লোকজন সমবেত হচ্ছিলেন।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েক ডজন অ্যাম্বুলেন্স সেখানে পেঁৗছে। সে সময় নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন চারদিকে অবস্থান নেয় এবং সাধারণ লোকজনকে সেদিকে যেতে বাধা দেয়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে একজন সাংবাদিক জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কয়েকদিন ধরে সৌদি আরবে প্রচণ্ড বালুঝড় হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত ক্রেনটির চারপাশে ভবনের ভেঙেপড়া অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসবের মাঝে পড়ে রয়েছেন হতাহতরা।
সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের পরিবহনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এর জন্য শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
বিডিনিউজ জানায়, এ দুর্ঘটনার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে যোগাযোগ করা হলে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, 'নিহতের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি থাকার খবর আমাদের কাছে নেই। তবে ৪০ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে; একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'
কাবা শরিফ ঘিরে বিশ্বের বৃহত্তম এই মসজিদ মুসলমানদের কাছে মহাপবিত্র স্থান। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ লোক হজ পালন করতে সৌদি আরবে সমবেত হন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখের মতো মুসলি্ল হজের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। তাদের অনেকে ইতিমধ্যে সেখানে পেঁৗছেছেন। | সৌদি আরব | মক্কা শরিফের মসজিদ আল হারামে নির্মাণ কাজের সময় ক্রেন ভেঙে শুক্রবার হতাহতের ঘটনা ঘটে | international |
https://samakal.com/whole-country/article/210976839/ফতুল্লায়-অপহৃত-দুই-গার্মেন্ট-শ্রমিক-উদ্ধার | ফতুল্লায় অপহৃত ২ পোশাক শ্রমিক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ | নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই পোশাক শ্রমিককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে পলাশ দাস নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এ সময় তার হেফাজত থেকে পোশাক শ্রমিক সোহানা খাতুন ও জসিম উদ্দিন জিসানকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় ভোলাইল শান্তিনগরের একটি রিকশা গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার পলাশ দাস ভোলাইল শান্তিনগরের বাসিন্দা। সোহানা খাতুনসহ দু'জনকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পলাশ, হিমেলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তার বড় বোন নাসরিন খাতুন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোহানা ফতুল্লার পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর মার্টিন নিট ওয়্যারের শ্রমিক। বৃহস্পতিবার পোশাক কারখানা ছুটির পর সোহানা ও জিসান বাসায় ফেরার পথে রাস্তা থেকে জোর করে তাদের তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে তাদের আটকে রেখে নাসরিনের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এ ঘটনার পর ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেন নাসরিন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ছোট বোন ও সহকর্মীকে উদ্ধার এবং পলাশকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় পলাশের সহযোগীরা। এর পরদিন মামলা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। | গার্মেন্ট শ্রমিক উদ্ধার,নারায়ণগঞ্জ,পোশাক শ্রমিক | পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পলাশ দাস। : | national |
https://www.dailynayadiganta.com/economics/457999/ঢাকার-বাজারে-৮০-টাকায়-নতুন-পেঁয়াজ- | ঢাকার বাজারে ৮০ টাকায় নতুন পেঁয়াজ | ঢাকার বিভিন্ন বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে জানা যায়, দেশের কয়েকটি স্থান থেকে পাতাসহ এসব পেঁয়াজ আসছে। এসব পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে ক্রেতারা বলছেন, এসব পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার মতো উপযোগী নয়। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে। কারওয়ান বাজারের আড়তদার মো: নজরুল ইসলাম বলেন, সাভার, মানিকগঞ্জসহ আরো কয়েকটি স্থান থেকে এসব পেঁয়াজ আসা শুরু করেছে। তারা এসব পেয়াজ পাইকারে ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ আড়ৎদার নজরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকার বাজারে কৃষকরা পরিপক্ক নতুন পেঁয়াজ আনা শুরু করবে। নতুন পেঁয়াজ এলেই পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামেই। মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১১০ টাকায়, চায়না ১০০ টাকায় আর বার্মিজ ১৬০ টাকায়। দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী লাকসাম ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী বেলাল হোসেন বলেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমছে না। দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হলে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে যাবে। তার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তিনি জানান, এখন বাজারে পাতাসহ যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তা সংরক্ষণ উপযোগী নয়। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ব্যবহার করে ফেলতে হবে। সংরক্ষণ উপযোগী পেঁয়াজ বাজারে আসতে আরো দুয়েকদিন সময় লাগবে। তবে দেশের কয়েকটি স্থানে স্থানীয় বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন। | পেঁয়াজ | ঢাকার বাজারে নতুন পেঁয়াজ | economy |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/07/31/%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b7/ | ফেরিতে রাজধানীগামী মানুষের যেন পা ফেলার জায়গা নেই (ভিডিও) | শিল্প-কারখানা খোলার খবরে ঢাকামুখী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। প্রতিটি ফেরিতেই গাদাগাদি ও স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা করেই কর্মমুখী মানুষ ছুটছেন তাদের গন্তব্যে। তাই লকডাউনের নবম দিনে শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে রয়েছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ভোর থেকেই রাজধানীগামী যাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে নৌরুটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিমুখী চাপে পড়ে বাংলাবাজার ঘাট। তবে যে পরিমাণ মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে আসছে তার দ্বিগুন মানুষ ঘাট দিয়ে ঢাকামুখী হচ্ছেন। বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন সত্ত্বেও ঈদের পর দিন থেকেই নৌরুট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই তারা দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছোট ছোট যানবাহনে অনেক কষ্ট করে ঘাট এলাকায় আসছেন। লকডাউনে ফেরিতে যাত্রী পারাপার বন্ধের নির্দশনা থাকলেও গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এছাড়াও গতকাল রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস খোলার ঘোষণার পর থেকে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে নদীর স্রোতের মতো। বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে নৌরুটে ৪টি রোরো, ৪টি কেটাইপসহ মোট ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গত দুইদিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল নৌরুটে। ফলে পদ্মা পারাপারের জন্য অপেক্ষারত পন্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে নৌরুটে। এছাড়া সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাটে মানুষের চাপে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটসহ ছোটবড় অসংখ্য গাড়ি ফেরিতে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে। মো. আরব আলী নামের এক যুবক বলেন, কালকে থেকে কারখানা খুলবে। তাই আজকেই চলে যাচ্ছি। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, সকাল থেকে আমার যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখছি। এই মূহুর্তে ঘাটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। আমি দুটি ফেরি খালি আসতে বলেছি। তাসলে হয়তো যাত্রীদের চাপ কমবে। বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন বলেন, নৌরুটে শনিবার সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। পন্যবাহী ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের ভিড় থাকায় ফেরিতে যাত্রীদেরও বহন করা হচ্ছে। | null | পোশাক কারখানায় যোগ দিতে গ্রাম থেকে ছুটে আসছে মানুষ, তিল পরিমাণ ঠাই নেই ফেরিতে। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/1606219335/গুপ্তহত্যায়-বিএনপি-জামায়াত-যুক্ত-এ-নিয়ে-সন্দেহ-নেই-প্রধানমন্ত্রী | গুপ্তহত্যায় বিএনপি-জামায়াত যুক্ত, এ নিয়ে সন্দেহ নেই : প্রধানমন্ত্রী |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে চলমান গুপ্তহত্যার জন্য বিএনপি-জমায়াত জোটকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষকের হত্যা প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নেই যে বিএনপি-জামায়াতই সকল গুপ্তহত্যার সঙ্গে যুক্ত। জনগণের হাতে আটক সন্ত্রাসীর পরিচয়- সে একজন শিবির কর্মী।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত উভয়েই প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যায় সিদ্ধহস্ত। এটাই তাদের চরিত্র। তারা জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে এবং ব্রিটিশ এমপি টিউলিপকে যুক্তরাজ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সব যুদ্ধাপরাধী লন্ডনে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন তারাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার পুত্র এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, 'একজন কুলাঙ্গার ছেলে, যে লন্ডনে বসে আছে। ব্রিটিশ সরকার কেন তাকে সেখানে জায়গা দিয়েছে জানি না।'
বাংলাদেশে কখনও জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জায়গা হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গণমাধ্যমে পরিপূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সুতরাং এই স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে তাদেরর কিছু দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন।
ইফতারে বক্তব্য দেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদ, মহাসচিব ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, ডিইউজে সভাপতি শাবান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী। | গুপ্তহত্যা,জঙ্গি,প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা | বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোকাস বাংলা | national |
https://www.ajkerpatrika.com/199441/%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87 | অতিরিক্ত আইজিপির বাসায় পাওয়া মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর | রাজধানীর রমনা অফিসার্স কোয়ার্টারে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের বাসা থেকে উদ্ধার গৃহকর্মী মৌসুমির (১৪) মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার কিছু পরে ময়নাতদন্ত শেষ হলে পুলিশ সদস্যদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ফজলুল হক মৌসুমির মরদেহ গ্রহণ করেন।ময়নাতদন্ত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন আফরোজ।এর আগে মৌসুমির মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমেনা খানম। তিনি সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, 'মারা যাওয়া মৌসুমির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ আছে।'অতিরিক্ত আইজিপির বাসা থেকে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলাপ্রাথমিকভাবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, মৃত মৌসুমি অজ্ঞাত কারণে ১৪/এ নম্বর শিমুল বিল্ডিংয়ের ১৩ তলার ছাদের বারান্দায় ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর রমনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন শিমুল থেকে মৌসুমির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানার পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুছ আলী বলেন, 'বিকেলে খবর পেয়ে অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসা থেকে ওই গৃহকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করি। এ সময় বাসার বেলকুনিতে লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে রাশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।'খিলক্ষেতে শিশু গৃহকর্মী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারজানা যায়, মৃত মৌসুমির বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামে। রমনা অফিসার্স কোয়ার্টারে অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মোহাম্মদ তারিকের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত সে। তারিক বর্তমানে রাজশাহীর সারদায় অবস্থিতি পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ।মৌসুমির বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। মা ফরিদা অন্য একজনকে বিয়ে করে সেখানেই সংসার পেতেছেন। এরপর থেকে নানির কাছেই বড় হয়েছে সে। | পুলিশ,রাজধানী,মরদেহ,ময়নাতদন্ত | অতিরিক্ত আইজিপির বাসায় পাওয়া মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর | national |
https://www.prothomalo.com/world/usa/যুক্তরাষ্ট্রে-এক-দিনে-২৭০০-ফ্লাইট-বাতিল | যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ২৭০০ ফ্লাইট বাতিল | অমিক্রনের কারণে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বাতিল অব্যাহত রয়েছে। শুধু গতকাল শনিবারই বাতিল করা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭০০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। খবর এএফপির। করোনার অতি সংক্রামক ধরন অমিক্রনের প্রকোপ যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রভাব এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোর ওপর পড়েছে। বিভিন্ন এয়ারলাইনসের অনেক পাইলট, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ও কর্মী কাজে যোগ দিতে পারছেন না। তাঁদের মধ্যে কেউ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। কেউবা করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার কারণেও যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা নাগাদ সারা বিশ্বে ৪ হাজার ৬৯৮টি ফ্লাইট বাতিল হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৭২৩টি ফ্লাইট, অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ ছাড়া শনিবার সারা বিশ্বে ১১ হাজার ৪৩টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বিলম্বিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৯৯৩টি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইট। যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস কোম্পানি সাউথওয়েস্টের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। কোম্পানিটিকে পূর্বনির্ধারিত ফ্লাইটের ১৩ শতাংশ বাতিল করতে হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিকাগো এলাকার বিমানবন্দরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাটিতে তুষারঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। | উড়োজাহাজ,করোনা বিশ্ব,অমিক্রন করোনাভাইরাস,করোনাভাইরাস,যুক্তরাষ্ট্র | যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বিমানবন্দর | international |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/গভীর-রাতে-ছাত্রাবাসে-ফিরলেন-বিতাড়িত-শিক্ষার্থীরা | গভীর রাতে ছাত্রাবাসে ফিরলেন বিতাড়িত শিক্ষার্থীরা | সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ ছাত্রাবাস থেকে বিতাড়িত শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে ফিরেছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে প্রায় ৫০ শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে বের করে দিয়েছিল ছাত্রলীগ। নেতা-কর্মীদের দাবি, যাঁদের বের করে দেওয়া হয়, তাঁরা শিবিরের কর্মী। রাত পৌনে একটার দিকে বিতাড়িত শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে ফেরেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত ছাত্রাবাসের সামনে অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে, ছাত্রাবাসের সামনে শতাধিক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন। ছাত্রাবাসের বাইরে রিকাবীবাজার-চৌহাট্টা সড়কে রাখা ছিল পুলিশের জলকামান। রিকাবীবাজার মোড়ে ছিল পুলিশের সাঁজোয়া যান। ছাত্রাবাসের ভেতরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কিছুক্ষণ পরপর ভেতরে মিছিল করছিলেন। তাঁদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। অন্যদিকে ছাত্রাবাসের ফটকের ডান পাশে বিতাড়িত শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাঁদের বক্তব্য জানতে চাইলে তাঁরা বক্তব্য দেবেন না বলে জানান। রাত পৌনে একটার দিকে ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরের রিকাবীবাজারের দিকে চলে যান। পরে তাঁরা রিকাবীবাজার মোড়ে অবস্থান নেন। তখন ছাত্রাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে ফিরে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, রাত দেড়টার দিকে রিকাবীবাজার মোড় থেকে মিছিল নিয়ে আবার ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রাবাসে প্রবেশ করেন। এ সময় সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হাসানসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়। এ সময় তাঁদের ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখা গেছে। তখন ছাত্রলীগের বেশ কয়েক নেতা-কর্মীর হাতে লাঠিসোঁটা দেখা যায়। রাত দুইটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রাবাসের মধ্যে মিছিল করেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাঁরা ছাত্রাবাস থেকে চলে যান। রাত পৌনে তিনটা পর্যন্ত ছাত্রাবাসের সামনে ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঐতিহ্য সংস্কৃতি পরিষদ নামের জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত সংগঠনের কর্মীরা ছাত্রাবাসের বি ব্লকে অবস্থান করছিলেন। তিন দিন আগে ওই ব্লকের একটি কক্ষে একটি রামদা পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানতে চাইলে গতকাল রাতে শিবিরের বহিরাগত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালান ওই ব্লকের কয়েকজন। পরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে তাঁদের ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ছাত্রাবাসে বহিরাগত শিবিরের নেতা-কর্মীরাও থাকেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার রাতে ছাত্রাবাসের সিট নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেছে। তবে ছাত্রাবাসের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. ময়নুল হক বলেন, 'ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে আমরা গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে হলে ফিরিয়েছি। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।' | সিলেট সদর,সিলেট,সিলেট বিভাগ,পুলিশ,ছাত্রলীগ | নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে প্রায় ৫০ শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগ। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ | national |
https://www.ajkerpatrika.com/100926/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8 | কানাডায় যাওয়ার সময় মুরাদ কি ভিক্টরি সাইন দেখিয়েছেন? | সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের 'ভিক্টরি সাইন' প্রদর্শন করা একটি ছবি পোস্ট করে সম্প্রতি ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে, এটি তাঁর দেশ ছাড়ার মুহূর্তের ছবি।ছবিটি উড়োজাহাজের চেয়ারে বসে তোলা। ফলে এটি যে সম্প্রতি মুরাদের কানাডায় পাড়ি দেওয়ার সময়ে তোলা, সেই ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সহজেই।ফ্যাক্টচেকমুরাদ হাসানের বিজয় অঙ্গুলি নির্দেশক যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, সেটি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে গত ১৬ নভেম্বর পোস্ট করা হয়।এই ছবিতে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর পরনে কালো জ্যাকেট ও মাথায় 'এমভি' লেখা ক্যাপ রয়েছে।মুরাদ হাসানের বিদেশযাত্রার সময়ের আরও একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ওই ছবিতে মুরাদকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। কালো ব্লেজার ও কালো ক্যাপ পরা মুরাদের ছবিটি কে তুলেছেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিছু সংবাদমাধ্যম 'সংগৃহীত' উল্লেখ করে ছবিটি প্রকাশ করেছে।প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত টক শো ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের পর প্রবল বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান।গত শুক্রবার রাতে দেশ ছেড়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।সিদ্ধান্তউড়োজাহাজে বসে ভিক্টরি সাইন দেখানো যে ছবি মুরাদ হাসানের দেশ ছাড়ার সময়ের দাবিতে ভাইরাল হয়েছে, সেটি মূলত আগের ছবি। গত ১৬ নভেম্বর মুরাদ হাসানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছবিটি পোস্ট করা হয়। | কানাডা,পদত্যাগ,দেশ,তথ্য প্রতিমন্ত্রী,মুরাদ হাসান,ফ্যাক্টচেক | কানাডায় যাওয়ার সময় মুরাদ কি ভিক্টরি সাইন দেখিয়েছেন? | national |
https://samakal.com/politics/article/17111757/বিএনপি-জনগণের-দল-ষড়যন্ত্রে-ধ্বংস-হবে-না-ফখরুল | বিএনপি জনগণের দল, ষড়যন্ত্রে ধ্বংস হবে না: ফখরুল |
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। বিএনপি বারবার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকেও ফিনিপ পাখির মতো জেগে উঠেছে। সরকারের ষড়যন্ত্র রুখতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।আন্দোলনের মধ্য দিয়েই নির্বাচনে যেতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী দল ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এই মন্তব্য করেন।বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীনরা দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিএনপিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে আলোচনায় বসুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তাতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তাদের সমর্থন জানাবে বিএনপি।তিনি বলেন, সরকার নাকি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় গিয়ে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যান এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করুন। কোনো আপত্তি নেই।মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। বিএনপি জনগণের দল। তাকে ধ্বংস করা যাবে না। এই দল ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিপ পাখির মতো জেগে উঠবে। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা কোনোদিন দাবিয়ে রাখা যাবে না। দলের নেতাকর্মীদের গ্রামগঞ্জে মানুষের ঘরে ঘরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হলেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে কিছুটা বাস্তববাদী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে অস্বীকার করা যাবে না। এর পেছনে এখনও বহু লোক আছে। অথচ জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রায়ই বলে থাকেন, বিএনপির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপিকে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা।
| মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,বিএনপি | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | politics |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/রাবিতে-ট্রাকচাপায়-শিক্ষার্থী-নিহতের-ঘটনায়-চালক-ও-তাঁর-সহকারী-আটক | রাবিতে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায়
চালক ও তাঁর সহকারী আটক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের হড়গ্রাম এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ দুজনকে আটক করে। আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল। আটক দুজন হলেন কাশিয়াডাঙ্গার বাসিন্দা টিটু (৪২) এবং নবগঙ্গা এলাকার হামিম হোসেন কালু (২০)। তাঁদের মধ্যে টিটু ট্রাকচালক আর হামিম চালকের সহকারী। আরেফিন জুয়েল বলেন, ঘটনার পর থেকেই এ দুজন পলাতক। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁদের আটকের জন্য অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাঁদের হড়গ্রাম এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাঁরা সেখানে এক মামার বাড়িতে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নগরের মতিহার থানায় মামলা হবে। তাঁদের এখন ডিবি কার্যালয় হেফাজতে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে ট্রাকচাপায় মারা যান শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি বগুড়ায়। তবে অসুস্থ মাকে নিয়ে থাকতেন নাটোরে। এই দুর্ঘটনায় আহত চারুকলার মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান প্রামাণিক রিমেল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি শঙ্কামুক্ত হলেও তাঁর একটি পা গুরুতর জখম হয়েছে। ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা নির্মাণসামগ্রী বহনকারী পাঁচটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। রাত সাড়ে নয়টা থেকে একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ট্রায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে ছয় দফা দাবির আশ্বাসে তাঁরা দিবাগত রাত দুইটায় উপাচার্যের বাসভবন ত্যাগ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীকে মৌখিকভাবে প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন। আজ বেলা পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে হাবিবের জানাজা হয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে তাঁর লাশ নিয়ে নাটোরের উদ্দেশে রওনা হন তাঁর মা ও মামা। সঙ্গে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। | গ্রেপ্তার,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী,রাজশাহী বিভাগ | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাকচাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক (বামে) ও চালকের সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে পুলিশে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে | national |
https://www.prothomalo.com/politics/ঘাপটি-মেরে-থাকা-সাম্প্রদায়িক-ব্যক্তিদের-চিহ্নিত-করতে-হবে-ইনু | ঘাপটি মেরে থাকা সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে: ইনু | দেশে অসাম্প্রদায়িক সরকার পরিচালনার জন্য রাষ্ট্র ও প্রশাসনব্যবস্থাকে অসাম্প্রদায়িক হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, এ জন্য সরকার, রাষ্ট্র, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে। মঙ্গলবার রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়া রামনাথপুরে সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন হাসানুল হক ইনু। জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির-ঘরবাড়ি পরিদর্শন করে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, দেশের ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হলো। যে কয়েকটি স্থানে সাম্প্রদায়িক শক্তি বর্বর সন্ত্রাস চালিয়েছে, সেখানে প্রশাসনের কোনো ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা কিংবা গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশের সব নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ বিষয়ে অজুহাত দেওয়া কিংবা দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।জাসদ সভাপতি আরও বলেন, কোনো হিন্দুই তাদের পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখে নিজের ধর্মের অবমাননা করবে না, নিজেদের জন্য বিপদও ডেকে আনবে না। সাম্প্রদায়িক শক্তি ওত পেতেই থাকে অছিলা তৈরি করে গুজব রটিয়ে হিন্দুদের ওপর হামলার জন্য। এ সময় জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কুমারেশ রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুল হক, রংপুর মহানগর জাসদের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, রংপুর মহানগর জাসদ নেতা আনোয়ার হোসেন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। জাসদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রংপুর ছাড়াও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু এলাকা পরিদর্শন করেছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। এসব সফরে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকনসহ স্থানীয় জাসদ ও জাসদ ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। | চাঁদপুর,জাসদ,চট্টগ্রাম বিভাগ,কুমিল্লা,সহিংসতা | কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের এলাকা পরিদর্শন করেন হাসানুল হক ইনু | politics |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/368357/সিইসির-ভাগ্নে-সম্পর্কে-যা-বললেন-গোলাম-মাওলা-রনি | সিইসির ভাগ্নে সম্পর্কে যা বললেন গোলাম মাওলা রনি | দল ও জোটের বিপরীতে গিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি গোলাম মওলা রনি। তিনি বলেছেন, 'ভোটে কিভাবে জিততে হয়, তা আমি বর্তমান সিইসি নূরুল হুদার কাছ থেকেই শিখেছি। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি ১৫ দিন আমার বাসায় থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলেন। ক্যাম্পেইন করেছিলেন।' আলেচিত-সমালোচিত গোলাম মওলা রনি সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এরপর তাকে পটুয়াখালী-৩ আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র দেয়া হয়েছে। যদিও এখানে তিনি ছাড়া ছাত্রদলের সাবেক নেতা হাসান মামুনকেও বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে। সে হিসেবে গতকাল বুধবার রনি এবং মামুন দু'জনেই নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বুধবার রাতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী তার বাসভবনে গোলাম মওলা রনিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেন। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম মওলা রনি বলেন, 'পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া শাহাজাদা সাজু সিইসির ভাগ্নে, ঠিক আছে। কিন্তু, তিনি আমারও কম কিছু নন। তিনি আমারও অভিভাবক।' তিনি বলেন, '২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, আমার নির্বাচন কৌশল ঠিক করে দিয়েছিলেন কেএম নূরুল হুদা। তিনি আমার বাসায় অন্তত ১৫ দিন বসবাস করে আমাকে নির্বাচনী কাজে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। ক্যাম্পেইন করেছিলেন।' গোলাম মওলা রনি বলেন, 'তখন তিনি সিইসি ছিলেন না। এখন তিনি সিইসি। তবে আমার কাছে তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা। তার ভেতরে সেই ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা বসত করলে, আমার নির্বাচনী মাঠে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই।' তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, তিনি আগের নূরুল হুদাই আছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি কোনোভাবেই বিতর্কিত হবেন না। এমন কি তার ভাগ্নের জন্যও না। কারণ, তার ভেতরে সেই ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো এখনও বিরাজমান।' এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, আপনার দল বিএনপি এবং জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন সিইসিকে নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে স্বার্থে তিনি তাকে সরিয়ে দেয়ারও দাবি করেছেন। জবাবে রনি বলেন, 'ড. কামাল হোসেন সারা দেশের ৩০০ আসন নিয়ে ভাবছেন। আমি শুধু একটি আসন নিয়ে ভাবছি। তিনি একটি বিশাল সমুদ্র, আমি তার বুকে ভেসে যাওয়া চিনা বাদামের খোসা। তার ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনার অমিল থাকতেই পারে।' নির্বাচনী এলাকায় কবে যাবেন এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, 'প্রতীক পাওয়ার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে এলাকায় যাব। পটুয়াখালী-৩ আসনে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, জনগণ ধানের শীষকে বিজয়ী করবেন।' এ সময় আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, 'গোলাম মওলা রনি আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাকে আমরা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিলাম।' এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ ছরোয়ার কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন, দফতর সম্পাদক গোলাম রহমান প্রমুখ। | null | সিইসির ভাগ্নে সম্পর্কে যা বললেন গোলাম মাওলা রনি | politics |
https://samakal.com/bangladesh/article/201142436/সমুদ্র-সম্পদ-নিয়ে-যৌথভাবে-কাজ-করবে-বাংলাদেশ-ও-ভারত | সমুদ্র সম্পদ নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ভারত: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী | সমুদ্র সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।বৃহস্পতিবার রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেনমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ ও অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশ মিলে কিভাবে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা যায় এবং আহরিত সম্পদ কিভাবে দুদেশের চাহিদা অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি করা যায় সে লক্ষ্যে ভারত সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবে। এর মধ্যে মেরিটাইম রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সমুদ্রে মৎস্যসম্পদ প্রাপ্তিস্থান সনাক্তকরণে স্যাটেলাইট ডাটা ব্যবহার, অত্যাধুনিক ফিশিং ট্রলার প্রদান, জেলেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সুরক্ষা, আবহাওয়া সংক্রান্ত সহযোগিতাসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিতে আগ্রহী ভারত। মন্ত্রী আরও বলেন, ডেইরি, পোল্ট্রি ও মৎস্য খাতে উভয় দেশ কিভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মাছ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি ও চাহিদা অনুযায়ী বিদেশে রপ্তানির ব্যাপারে ভারত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। যে সময় বাংলাদেশে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে সে সময়ে যৌথভাবে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে আমাদের ঐকমত্য হয়েছে। আগামীতে মা ইলিশ আহরণ ও জাটকা আহরণ বন্ধে একই সময়ে আমাদের সাথে ভারতও ব্যবস্থা নেবে। মন্ত্রী আরও যোগ করেন, উভয় দেশে উৎপাদিত মৎস্য ও প্রাণিজাত সামগ্রী কিভাবে আমদানী-রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে দেশের অভ্যন্তরে গবেষণাগার নির্মাণ, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সীমান্ত এলাকায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজ তৈরী, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। সামগ্রিকভাবে দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশ যৌথভাবে আমরা কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বড় ত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদের সৈন্যরা আমাদের সাথে মিত্র বাহিনীতে যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের যেকোন প্রয়োজনে ভারত পাশে দাঁড়ায়। যেকোন সময়ের তুলনায় ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনেক ভালো। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব আরো নিবিড় করে আমরা একসাথে এগিয়ে যেতে চাই।' এছাড়া বাংলাদেশে ডেইরি খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এ খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ভারতে বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণেরও কথা উল্লেখ করেন তিনি। | প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম,বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী,সমুদ্র সম্পদ | সমুদ্র সম্পদ নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ভারত | national |
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/617780/টসে-জিতলে-মাহমুদউল্লাহও-ব্যাট-নিতেন | টসে জিতলে মাহমুদউল্লাহও ব্যাট নিতেন! | টি-২০ বিশ্বকাপের টসে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আর শ্রীলঙ্কা প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকেই প্রথমে ব্যাট করতে হচ্ছে। তবে অধিনায়ক মোহাম্মদউল্লাহ বলেছেন, তিনিও প্রথমে ব্যাট করতে চান। তিনি জানান, আমাদেরকে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে হবে। আশা করি, এখানে ভালো ব্যাট করা যাবে। প্রথম টসে হারার পর কিছুটা স্বস্তি লাগছে। ছেলেরা রিলাক্সে আছে। আশা করি, আমরা এখানে ভালো খেলতে পারব। তিনি বলেন, আজকের ম্যাচে বাদ পড়েছেন তাসকিন। আর দলে ঢুকেছেন নাসুম আহমেদ। অন্যদিকে প্রথমে বোলিং নেয়ার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেন, আমাদের বোলাররা দারুণ করছে। আইপিএলের পর উইকেটে ওঠা-নামা করেছে, উইকেটের চরিত্র বোঝা কঠিন মনে হচ্ছে। এ কারণে আমরা আগে বল করতে চাই। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক বলেন, এখানকার আবহাওয়া সত্যিই ভঅলো। আমরা সবাই খুব ভালো মুডে আছি। তরুণরা ভালো কাজ করছে। তারা ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের একটি ইঞ্জুরি সমস্যা আছে। মাহিশ তিকশানা বাদ পড়েছে, বিনুরা ফারনান্ডো ফিরেছেন। | null | টসে জিতলে মাহমুদউল্লাহও ব্যাট নিতেন! | sports |
https://samakal.com/international/article/220399124/পুতিন-বিশ্বের-ভিত-নাড়িয়ে-দিতে-চেয়েছিলেন-বাইডেন | পুতিন বিশ্বের ভিত নাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন: বাইডেন | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ছয়দিন আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুক্ত বিশ্বের ভিত নাড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন এটাকে তিনি তার ভয়ঙ্কররূপে আঘাত করতে পারবেন। কিন্তু তিনি হিসাবে ভুল করেছিলেন। পুতিন ভুল ছিলেন। আমরা প্রস্তুত ছিলাম। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদে নিজের প্রথম ভাষণে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিবছরের শুরুতে কংগ্রেস সদস্যদের উদ্দেশে এই ভাষণ দিতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। ভাষণটির আনুষ্ঠানিক নাম 'স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন স্পিচ'। খবর বিবিসি অনলাইনের। এ সময় তিনি বলেন, ইতিহাস দেখিয়েছে যখন আগ্রাসনের জন্য স্বৈরশাসকরা কোনো মূল্য পরিশোধ না করে, তখন তারা আরও বেশি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। 'পূর্বপরিকল্পিত এবং বিনা প্ররোচনায়' চালানো রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বাইডেন মন্তব্য করেন, 'স্বাধীনতা-প্রেমী জাতিগুলোর' জোট যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছে। আর যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো দেখিয়েছে পাশ্চাত্য ইউক্রেনের পাশে আছে। এ ছাড়া বাইডেন ইউক্রেনের জনগণকে শক্তিশালী প্রাচীর উল্লেখ করে বলেন, পুতিন বিষয়টি কখনো কল্পনা করেননি। এ সময় বাইডেন ইউক্রেনের লড়াইরত জনগণের প্রতি স্ট্যান্ডিং ওভ্যাশন দেন এবং পরিষদের সদস্যদের বলেন, চলুন আমরা প্রত্যেকে, যদি দাঁড়াতে সক্ষম হই তাহলে দাঁড়িয়ে ইউক্রেন ও বিশ্বের প্রতি সুস্পষ্ট বার্তা দিই। এ সময় আইনপ্রণেতারা দাঁড়ান এবং করতালি দিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছিলেন। কেউ কেউ হাতে ইউক্রেনের পতাকা নিয়ে নাড়ছিলেন। বাইডেন বলেন, যদিও তিনি (পুতিন) যুদ্ধক্ষেত্রে সফলতা পেতে পারেন। কিন্তু তাকে দীর্ঘসময় চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের প্রমোদতরি এবং অ্যাপার্টমেন্ট জব্দে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আপনার (পুতিন) অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্পদের ব্যাপারে আমরা আসছি। | ভ্লাদিমির পুতিন,জো বাইডেন,রাশিয়া,ইউক্রেন,আগ্রাসন,ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা | জো বাইডেন। : বিবিসি অনলাইন | international |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2016/11/25/187677 | ফের এক সঙ্গে শাহরুখ-আনুষ্কা | ফের একবার শাহরুখ খানের সঙ্গে কাজ করলেন আনুষ্কা শর্মা। আড় শাহরুখের সাথে কাজ করতে পেরে বরাবরের মতই খুশি তিনি। নিজের প্রথম ছবি 'রব নে বানাদি জোড়ি', এরপর 'জাব তাক হ্যায় জান' এর পর ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত নতুন একটি ছবিতে দেখা যাবে এই তারকা জুটিকে। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের সঙ্গে নতুন ছবিতে অভিনয়ের প্রসঙ্গে আনুষ্কা বলেন,'ইমতিয়াজ আলির সঙ্গে এটি প্রথম সিনেমা হলেও শাহরুখের সঙ্গে তৃতীয় সিনেমা। খুব ভাল লাগছে। দুর্দান্ত অনুভূতি। এখন পর্যন্ত ছবিটির নাম 'দ্য রিং' নাম রাখা হলেও পরে সেটি পরিবর্তন করা হতে পারে।' বিডি-প্রতিদিন/২৫ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১১ | null | শাহরুখ-আনুষ্কা | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/6884/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | কোহলিরা খুব বেশি লিড নিতে দেননি উইলিয়ামসনদের | ঢাকা: যেভাবে কিউই টপঅর্ডার খেলছিল, বড় লিড পাওয়া নিউজিল্যান্ডের জন্য কঠিন ছিল না। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষে ৩২ রানের অল্প লিডই নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের ২১৭ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয় ২৪৯ রানে।ব্যাট হাতে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ভালো শুরুর ধারাটা পঞ্চম দিন ধরে রাখতে পারেননি কিউই ব্যাটসম্যানরা। ৫ উইকেটে ১৩৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। এক প্রান্তে অবশ্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। তাঁর ৪৯ রানের লড়াকু ইনিংসটা থামে ইশান্ত শর্মার বলে স্লিপে কোহলির ক্যাচ হয়ে।ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২৪৯ রানে অলআউট হওয়ার আগে নিউজিল্যান্ড লিড পেয়ে যায় ৩২ রানের। ইশান্ত শর্মা ৪৮ রানে ৩ উইকেট ও মোহাম্মদ শামি পেয়েছেন ৭৬ রানে ৪ উইকেট।সাউদাম্পটনে পঞ্চম দিনও সময়মতো খেলা শুরু করা যায়নি বৃষ্টির কারণে। ঘণ্টাখানেক দেরি করে অবশেষে মাঠে গড়িয়েছে ম্যাচটি। এর আগে দ্বিতীয় দিনে হয়েছে মোটে ৬৪.৪ ওভার। তৃতীয় দিনে খেলা হয় ৭৬ ওভারের মতো। চতুর্থ দিন পুরোটাই বৃষ্টির পেটে। ফাইনাল গড়াচ্ছে এখন ষষ্ঠ (রিজার্ভ) দিনে। | ভারত,ক্রিকেট,কোহলি,নিউজিল্যান্ড | দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন উইলিয়ামসন। | sports |
https://samakal.com/whole-country/article/19115042/কাউকে-বাংলাদেশে-পুশ-করবে-না-পররাষ্ট্রমন্ত্রী | ভারত কাউকে বাংলাদেশে পুশ করবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী | পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত কাউকে বাংলাদেশে পুশ করবে না। ভারত সরকার আমাদের বারবার বলেছে, এনআরসি তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এনআরসি ইস্যু নিয়ে কিছু 'ফড়িয়া' তৎপর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি তালিকা থেকে বাদপড়াদের নিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু তথ্য বের হয়। কিন্তু পরে দেখা গেছে এসব তথ্য সঠিক নয়। রোববার সিলেট সফরে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি রোববার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেন। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে শিক্ষা বৃত্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি আরও বলেন, একজন নারী শিক্ষিত হলে একটি পরিবার, একটি গ্রাম সর্বোপরি দেশ শিক্ষিত হয়। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লে পুরো দেশ উপকৃত হবে। সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ বছর ২১৮ শিক্ষার্থীকে ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সীমান্তিকের চিফ পেট্রন ড. আহমদ আল কবীর, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী দেবজিৎ সিংহ প্রমুখ। এদিকে রোববার বিকেলে নগরীর উপকণ্ঠ খাদিমনগরে সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। | ভারত,বাংলাদেশ,পররাষ্ট্রমন্ত্রী,এনআরসি | সিলেট জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন- | national |
https://samakal.com/whole-country/article/19101464/কাভার্ড-ভ্যানচাপায়-প্রাণ-গেল-পুলিশ-সার্জেন্টের | চট্টগ্রামে কাভার্ড ভ্যানচাপায় প্রাণ গেল পুলিশ সার্জেন্টের | চট্টগ্রামে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক সার্জেন্ট নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের টোল রোডের উত্তর কাট্টলী রাসমনি ঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম বকশি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। ২০১৫ সালের তিনি পুলিশ বিভাগে ভর্তি হন। নগর পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) তারেক আহম্মেদ সমকালকে বলেন, টোল রোডে মোটরসাইকেলে দায়িত্বপালন করছিলেন সার্জেন্ট বকশি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈনুর রহমান সমকালকে বলেন, চাপা দেওয়া কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার পরপর চালক পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। | চট্টগ্রাম,ট্রাফিক সার্জেন্ট,সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু | নিহত আবদুল্লাহ | national |
https://www.bd-pratidin.com/campus-online/2017/02/08/206463 | ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
| রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে যেতে দেরি করা ও নেতাকে ভাই বলে সম্বোধন না করায় শিলু হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বরজাহান। বুধবার বেলা ১১টায় হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিলু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে শিলু বলেন, 'কক্ষ থেকে বের হতে দেরি হওয়ায় বরজাহান ভাই এসে আমাকে তার নাম বলতে বললেন। আমি নাম বলি। কিন্তু তার নামের সাথে ভাই না বলায় তিনি আমাকে মারধর করেন ও পরবর্তীতে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।' তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বরজাহান বলেন, 'শিলুকে ডাকতে গেলে সে আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তাই কয়েকটি ধাক্কা মেরেছি, কিন্তু মারধর করিনি।' বিডি-প্রতিদিন/০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব | null | ছাত্রলীগ নেতা বরজাহান | education-career |
https://samakal.com/whole-country/article/1909948/স্বেচ্ছাসেবক-লীগ-নেতা-পীযূষ-অস্ত্রসহ-আটক | সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পীযূষ অস্ত্রসহ আটক | সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি দে ও তার তিন সহযোগীকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পীযূষের সঙ্গে আটকেরা হলেন-বাপ্পা পাল, মিন্টু রায় ও রায়হান আহমদ। র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, মির্জাজাঙ্গালে পীযূষের অফিসে অভিযান চালায় র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি রিভলভার, দুই রাউন্ড গুলি ও ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় পীযূষসহ তার তিন সহযোগীকে আটক করা হয়। পীযূষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গত ৬ আগস্ট পীযূষের অনুসারীরা তিন প্রবাসীকে মারধর করলে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। | স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা,আটক | পীযূষ কান্তি দে | national |
https://www.ajkerpatrika.com/116103/%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0 | তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির | মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েক দিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা বিরাজ করছে ১০ ডিগ্রির নিচে। সঙ্গে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের করার চেষ্টা করছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাধারণত ১০ ডিগ্রি নিচ থেকে ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে বলা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ ডিগ্রি থেকে ৬ পর্যন্ত থাকলে ধরা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর ৬ ডিগ্রি থেকে ৪ পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে ধরা হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এবারের আবহাওয়াটা একটু ব্যতিক্রম। কারণ কিছুদিন আগেও রাতে গরম আর দিনের বেলায় শীত অনুভূত হচ্ছিল বেশি। যা আগে দেখা যায়নি। আবার গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ তাপমাত্রা নেমে গেছে। মাঘের যে হাড় কাঁপানো শীতে সেটি অনুভূত হচ্ছে পৌষের শেষের দিকে। কয়েক দিন ধরে বেলা ১১টার পর সূর্যের দেখা মিলছে। সঙ্গে দিনজুড়ে থাকছে কনকনে শীত।এদিকে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতকালীন ফসলের কিছুটা উপকার হলেও বোরো আবাদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বোরোর চারা কিছুটা লালচে হয়ে যাচ্ছে।শহরের চক্রপাড়ার রিকশাচালক মিলন হোসেন বলেন, কিছুদিন আগেও ভোরে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে কয়েক দিন ধরে দেরি করে বের হতে হচ্ছে। এতে রোজগারে ভাটা পড়েছে।সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মেহেরনিগা খাতুন বলেন, প্রতিবছর এ সময়ে কিছুটা সাহায্য পেলেও এবার কেউ সাহায্যের হাত বাড়াননি। কেউ কম্বলও দেননি।সদর উপজেলা আমঝুপি গ্রামের চাষি আব্দুল খালেক বলেন, 'এবার আমি ৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করব। সেই লক্ষ্যে ৩ কাঠা জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করেছিলাম। প্রচণ্ড কুয়াশায় আমার চারা লালচে হয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে বীজতলায় ছত্রাকনাশক স্প্রে করে কিছুটা প্রতিকার পেয়েছি। তবে ৫ বিঘা জমির চারা সেখান থেকে পাব না।রঘুনাতপুর গ্রামের চাষি আব্দুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করার কথা ভাবছেন। দেড় কাঠা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু প্রচণ্ড শীতের কারণে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, শৈত্য প্রবাহে শীতকালীন সব ফসলেরই উপকার হচ্ছে। তবে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বোরোর বীজতলা। এ সময় কৃষকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ধান গবেষণার ইনস্টিটিউটের পরামর্শে শৈত্য প্রবাহ থাকলে সকালে চারা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আবার রাতে খুলে দিতে হবে। সকালে চারার ওপর থাকা কুয়াশা ডালপালা দিয়ে ভেঙে দিতে হবে। চারা লালচে বর্ণ ধারণ করলে পটাশ ও ইউরিয়া স্প্রে করতে হবে। তাতে কাজ না হলে জিপশাম দিতে হবে। বেশি সমস্যা দেখা দিলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। | মেহেরপুর,চুয়াডাঙ্গা,খুলনা বিভাগ,চুয়াডাঙ্গা সদর,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,মেহেরপুর সদর,যশোর ৭ | বেড়েছে শীত।কনকনে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশার মধ্যে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন অনেকে। টি গতকাল মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর এলাকা থেকে | national |
https://www.ajkerpatrika.com/116332/%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%95%C2%A0 | পিঠা বিক্রি করে সফল ওমর ফারুক | একখানা ভাপা পিঠা অর্ডার করে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রায় ৩০ মিনিট। চালের গুঁড়া, পাটালি গুড় আর নারকেল দিয়ে বানানো ভাপা পিঠার স্বাদ নিতে দূর-দুরান্ত থেকে আসেন মানুষ। এসে ভিড় জমায় খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ার ওমর ফারুক এর দোকানে। বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা খাওয়ার ধুম।সরেজমিনে দেখা যায়, জালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের পাশে ভাপা পিঠার দোকান। দোকানদারের নাম ওমর ফারুক। প্রায় ৫ বছর ধরে তিনি শীতের মৌসুমে ভাপা পিঠা বিক্রি করে আসছেন। তিনি কাগজে মোড়ানো ছোট একটি চৌকির ওপর থেকে ধোঁয়াসহ গরম পিঠা নামাচ্ছেন আর সঙ্গে সঙ্গেই সে পিঠা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পিঠা তৈরির জন্য তিনটি চুলায় বসানো হয়েছে পাতিল। পানি ভর্তি পাতিলের বাষ্পের তাপে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। আর একজন সহকারী তা বিক্রি করছেন।পিঠা খেতে আসা মো. ওসমান গনী বলেন, 'সন্ধ্যার পর পিঠা খাওয়ার জন্য লম্বা লাইনে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ গুড় নারকেলের তৈরি ভাপা পিঠা খেতে আসেন।'পিঠা বিক্রেতা ওমর ফারুক বলেন, 'বছর তিনেক আগে জালিয়াপাড়া পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় শীতের ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু করি। আস্তে আস্তে পিঠা বিক্রি করে সফলতার মুখ দেখি। প্রতিদিন ১০ টাকা করে এক পিছ পিঠা বিক্রি করে আয় করি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এতে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার মতো লাভ থাকে। মাস শেষে পিঠা বিক্রি বিক্রি করে আয় করে থাকি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।' | খাগড়াছড়ি,চট্টগ্রাম বিভাগ,মাটিরাঙ্গা,পিঠা | পিঠা বিক্রি করছেন ওমর ফারুক। | national |
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/04/22/1650621169210 | নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: দুই হত্যা মামলার তদন্তভার পাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ | রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলার মধ্যে দুই হত্যা মামলার তদন্তভার পাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ। কুরিয়ারকর্মী নাহিদ হোসেনের বুধবার রাতে একটি হত্যা মামলা হয়। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম জানান, নিহত নাহিদের চাচা মো. সাইদের করা হত্যা মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, "শুক্রবার ডকেটসহ সবকিছু গোয়েন্দা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।" বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্যদিকে দোকান কর্মচারী মোরসালিন নিহতের ঘটনায় আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাটিও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেনশাহ। বাকি দুই মামলা তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে ওসি কাইয়ুম বলেন, "পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ ও অন্যান্য ভিডিও বিশ্লেষণ করছে।" নিউমার্কেটের চার নম্বর ফটকের সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে তিন শিক্ষার্থী চিহ্নিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সব কিছু নিয়েই কাজ করছে, "কারা হেলমেট পড়া ছিল আর বাইরে থেকে কারা ওই এলাকায় গেছে, সবকিছু দেখা হচ্ছে।" হত্যা মামলার বাইরে দায়ের করা অন্য দুইটি মামলার একটি দায়ের করা হয় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে। মামলাটি দায়ের করেন নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান। অন্যটি দায়ের করা হয় দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে। এই মামলাটি দায়ের করেন একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির। মামলায় নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে ওসি বলেন, "মামলায় যাদের নাম রয়েছে, তাদেরকে উসকানিদাতা হিসেবে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তারা কোনো রাজনৈতিক দলের কি-না সেটি মামলায় উল্লেখ নেই।" | নিউমার্কেট,ঢাকা কলেজ,সংঘর্ষ,হত্যাকাণ্ড,রাজধানী | পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে কলেজের দিকে। ব্যবসায়ীরা তাদের পিছনেই ছিল | national |
https://www.ajkerpatrika.com/9075/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95 | মর্মান্তিক! | এ রকম হৃদয়ছেঁড়া কান্না কি এই প্রথম দেখলাম? আগুনে পুড়ে কয়লা হওয়া লাশের মিছিলও কি আমাদের চোখে পড়ল এই প্রথম? এই যে পঞ্চাশের বেশি শ্রমিকের জীবন চলে গেল এক নিমেষে, সেই জীবনগুলো কি কোনো কারণেই মূল্যবান নয়?ভণিতা করে বক্তৃতাবাজি করলে বলতে হবে, প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। কিন্তু আদতে আমাদের চলমান জীবনে এই মৃত্যুগুলো সত্যিই কি কোনো মানে তৈরি করে? কিছুদিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় ঘটা এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা যখন পরিণত হবেন সংখ্যায়, তখন আমরা কী করব? আমরা তখন এই শোকগাথায় ডুবে ভাবব, জীবন এমনই! ভাবব, তবু জীবন বয়ে চলে।ভুল কথা। জীবন এমনই নয়। এভাবে জীবন বয়ে চলতে পারে না। এর পরেও জীবন যে বয়ে চলে, তার কারণ হলো, জীবনযাপনে মানবিকতা আর নৈতিকতার দাম দিতে শিখিনি আমরা। এক একটা জীবন্ত মানুষ মুহূর্তে লাশে পরিণত হয় আর আমরা তাকে সংখ্যা ভাবতে শুরু করি-এটা কখনোই মনুষ্যজীবনের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে না।আমাদের মনে পড়ে যাবে, ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর নিমতলীতে কেমিক্যাল গুদামে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে মারা গিয়েছিলেন ১২৫ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছিলেন ৮১ জন। এ রকম অগ্নিকাণ্ড কিন্তু আরও অনেক ঘটেছে এবং তা মানুষের চোখে নিয়ে এসেছে সমুদ্র।রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন লাগার রহস্য হয়তো উদ্ঘাটন করা হবে। সেসব জানার পর হা-হুতাশ করা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। পত্রিকায় লিখবেন বিশেষজ্ঞরা, টেলিভিশনে এসে মতামত দেবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের বক্তব্য থেকে জ্ঞান আহরণ করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। কোনো কারখানায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, অগ্নিকাণ্ডের মতো ব্যাপার ঘটলে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় আছে কি না, কারখানা থেকে বের হওয়ার পথ আছে কি না, সেগুলো মেনে চলতে কি আমরা বাধ্য করতে পেরেছি মালিকদের? কমপ্লায়েন্স নীতিমালা বলে যা আছে, তা আদতেই এরা মেনে চলে কি? না চললে কীভাবে এই অসম্পূর্ণতা নিয়ে কারখানাগুলো চলছে?এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। কর্মক্ষেত্রে শ্রমজীবী অসহায় মানুষের ন্যূনতম মানবাধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষা না করেই শিল্পকারখানাগুলো চলছে কী করে, সেই প্রশ্নের উত্তর চাওয়ার সময়ও পেরিয়ে গেছে বহু আগে। কয়েক বছরের ব্যবধানে একই ধরনের বড় বড় ট্র্যাজিক অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা; কিন্তু তা বন্ধ করার বা করতে বাধ্য করার কোনো আলামত দেখছি না। কেন এভাবে এখনো চলছে, তার জবাবদিহি চাইছি।স্বজনের লাশ দেখার উৎকণ্ঠা নিয়ে যেসব মানুষ কাঁদছিলেন ভুলতার সেই কারখানার সামনে, তাঁদের হৃদয়ের অসহায়ত্বের সঙ্গী হয়ে আমরা উচ্চারণ করছি: নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সময় নয় এটা। কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবেই দায়মুক্তি দেওয়া চলবে না। | সম্পাদকীয় | মর্মান্তিক! | opinion |
https://www.dailynayadiganta.com/chattagram/355350/ডিজিটাল-নিরাপত্তা-বিলে-রাষ্ট্রপতির-সই | ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতির সই | বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি কার্যকর হল। আজ সোমবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সাতটি বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। তবে এই আইনটিতেই বিতর্কিত ৫৭ ধারার বিষয়গুলো চারটি ধারায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশকে পরোয়ানা ও কারও অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই আইনে ঢোকানো হয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন 'অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট'। আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এই আইন লঙ্ঘন হয়, এমন অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে এই আইনে বিচার করা যাবে। এই আইনের অধীনে সংগঠিত অপরাধ বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। এ সময়ে সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস সময় বাড়ানো যাবে। আইনে বলা হয়েছে, তথ্য অধিকারসংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর বিধানাবলি কার্যকর থাকবে। | ডিজিটাল নিরাপত্তা,আইন,রাষ্ট্রপতি | রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ। | national |
https://www.prothomalo.com/politics/বিএনপি-জামায়াত-ক্ষমতায়-ফিরলে-দেশে-আরেকবার | বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ফিরলে দেশে আরেকবার রক্তগঙ্গা বইবে: মেনন | ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, 'এবার বিএনপি-জামায়াত যদি ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে এই দেশে আরেকবার রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। সেই রক্তগঙ্গার যৌক্তিকতা পেতেই আজকে তারা জনগণকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখাচ্ছে।' আজ মঙ্গলবার বিকেলে নিজের নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৮ আসনের অন্তর্ভুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে মেনন বলেন, 'কামাল হোসেন বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন। যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের ২৫ জনকে ধানের শীষে মনোনয়ন দিয়ে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সেই জামায়াতকে সাথে নিয়ে আমাদের ড. কামাল হোসেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন-এর চেয়ে প্রহসন আর প্রতারণা কী হতে পারে! আজকে বিএনপিও তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। কামাল হোসেন যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন, এই কথাটি বিএনপির ঘোষণার মধ্যে নেই। এতে এই সত্যই প্রমাণিত হলো যে, বিএনপি-জামায়াতের ঐক্যের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যফ্রন্ট তৈরি হয়েছে, সেটা আসলে বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিএনপি-জামায়াতকে আরেকবার হালাল করা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেবে না। কারণ তারা গত ১০ বছরের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে চায়।' প্রচারণা সভায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, 'ড. কামাল হোসেনরা জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত জামায়াত ও বিএনপিকে পুনর্বাসনের যে রাজনীতি শুরু করেছেন, তাকে পরাজিত করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচন আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সে রকমই গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। কারণ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে হাঁটবে, নাকি পেছন দিকে হাঁটবে। সারা দেশের সব আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।' মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। সভায় তিনি বলেন, সেই ষড়যন্ত্রে হাত মিলিয়েছে কিছু মুখোশধারী মানুষ। সেই মুখোশধারীদের মধ্যে আছেন ড. কামাল হোসেন, আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু নেতা, যাঁরা ডাকসুর ভিপি ছিলেন। এই সমস্ত অধঃপতিত শক্তি একটি অশুভ জোট বেঁধেছে। আর সে কারণে এই নির্বাচনটি হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। এরা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু তাঁদের মুখোশ খসে পড়েছে। ঢাকা মহানগর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম এ হামিদ খানের সভাপতিত্বে ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিলাল রায়ের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিববাড়ী এলাকায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন রাশেদ খান মেনন। | একাদশ সংসদ নির্বাচন,বিএনপি,রাশেদ খান মেনন,রাজনীতি,,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট,জামায়াত,আওয়ামী লীগ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ছবি: প্রথম আলো | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/35466/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE | ফাঁদ পেতে বন বিড়াল আটক, পানিতে চুবিয়ে হত্যা | মেঘনায় রফিক (৪৮) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফাঁদ পেতে বন বিড়াল আটক করার পর সেটি পানিতে চুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার সেননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মো. রফিক (৪৮) কুমিল্লার মেঘনার মৃত হাসেমের ছেলে।রফিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমার অনেকগুলো মুরগি ভাওরালে (বন বিড়াল) খেয়ে ফেলেছে। আমি অতিষ্ঠ হয়ে খাঁচার ফাঁদ পাতলে আজ ধরা পড়ে। পরে বাড়ির ছেলেরা পানিতে চুবিয়ে ভাওরালটাকে মেরে ফেলে।'উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। | কুমিল্লা,হত্যা,চট্টগ্রাম বিভাগ,মেঘনা | ফাঁদ পেতে বন বিড়াল আটক করার পর সেটি পানিতে চুবিয়ে হত্যা। | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2019/06/16/432023 | ইসলাম উদ্দিন বয়াতীর জন্য ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির আহ্বান | প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ইসলাম উদ্দিন বয়াতীর পাশে দাঁড়ালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। অসুস্থতার খবর পেয়ে রবিবার বিকালে তার নিজ এলাকা গৌড়িপুর থেকে কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে স্বনামধন্য বয়াতী ইসলাম উদ্দিনের বাড়িতে যান সনজিত। সেখানে ইসলাম উদ্দিনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তার পরিবারের লোকজনের বিষয়েও খোঁজ নেন তিনি। ছাত্রলীগ নেতা সনজিত চন্দ্র দাস জানান, ইসলাম উদ্দিনের শারীরিক অবস্থা ভাল না। নিয়মিত চিকিৎসা না করা হলে তা অবনতির দিকেই যাবে। ইসলাম উদ্দিনের একমাত্র মেয়েটির মধ্যে পড়ালেখা করার মানসিকতা আছে। কিন্তু তার বাবা ইসলাম উদ্দিনের চিকিৎসার খরচ জুগিয়েই পরিবারটির অবস্থা নাজেহাল। অসুস্থ বাবার দিকে তাকিয়ে মেয়েটি পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। এসময় সঞ্জিত সমাজের বিত্তবানদের সাধ্যমতো পরিবারটির পাশে দাঁড়াবার আহবান জানান এবং তিনি নিজেও সাধ্যমতো সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের একাধিক নাটক, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে খ্যাতি পান ইসলাম উদ্দিন বয়াতী। প্রায় বছরখানেক সময় ধরে জনপ্রিয় এই শিল্পী অসুস্থ। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না। দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ইসলাম উদ্দিন বয়াতী বলেন, হুমায়ূন আহমেদ থাকতে আমার খোঁজখবর নিতেন। বিভিন্ন সময়ে আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতাও করেছেন। কিন্তু এখন আর ওই পরিবার থেকে কেউ তার তেমন খোঁজ নেয় না। সকলেও দোয়া ও সহায়তা পেলে হয়তো আমি সুস্থ হয়ে যেতাম। এসময় ছাত্রলীগ নেতা সনজিতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইসলাম উদ্দিন বয়াতী। ইসলাম উদ্দিনের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে। তিনি শৈশবকাল থেকেই গানে মগ্ন। ছাত্রজীবনে মামা রঙ্গু মিয়ার কণ্ঠে গান শুনে গানের প্রতি আসক্ত হন। এর পর প্রখ্যাত বাউল আবেদ আলীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে বাউল গান ও বাউল শাস্ত্রের তালিম নেন। কৈশোরেই তিনি জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে গানকেই বেছে নেন জীবিকার অবলম্বন হিসেবে। ১৯৯২ সালে কেন্দুয়ার কুতুবপুর গ্রামের এক আসরে বাউল গান গেয়ে তিনি জননন্দিত কথা সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের দৃষ্টিকাড়েন। পরবর্তীতে তার ঘনিষ্ঠ সহচর হয়ে ওঠেন। হুমায়ূন আহমেদের 'উড়ে যায় বক পক্ষী', 'চন্দ্র কারিগর', 'মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম', 'এনায়েত আলীর ছাগল', 'অদেখা ভুবন', 'চৌধুরী খালেকুজ্জামানের বিশ্ব রেকর্ড', 'চৌধুরী খালেকুজ্জামানের এভারেস্ট জয়', 'থ্রি-টু-ওয়ান জিরো এ্যাকশান'সহ ১৩টি নাটক, দুটি চলচিত্র 'ঘেটুপুত্র কমলা' ও 'নয়ন নম্বর বিপদ সংকেত' এবং তিনটি বিজ্ঞাপন চিত্রে গান ও অভিনয় করেছেন তিনি। এসব অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নব্বই দশক ও তার পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে পরিচিতি পান তিনি। একাধিকবার গান করেছেন দেশের বাইরেও। তার লিখা পাণ্ডুলিপি-নেত্রকোনার আঞ্চলিক ভাষার অভিধান, বাউল গানের পা-লিপি ও নেত্রকোনার সাহিত্য নামে ৩টি পাণ্ডুলিপি অর্থাভাবে প্রকাশ করতে পারছেন না। এ নিয়েও তার হতাসার অন্ত নেই। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন | null | সনজিত চন্দ্র দাস | national |
https://www.ajkerpatrika.com/36/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A7%AB-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%B0 | মরুকরণ প্রতিরোধে ৫ হাজার মাইল সবুজ প্রাচীর | বিশ্বের সর্ববৃহৎ মরুভূমি সাহারা। গত শতাব্দীতে এই মরুভূমি ১০ শতাংশেরও বেশি প্রসারিত হয়েছে, যার বর্তমান আয়তন ৩৩ লাখ বর্গমাইলের বেশি। এটি এখন উত্তর আফ্রিকার ১১টি দেশে বিস্তৃত। আধা শুষ্ক সাহেল অঞ্চল দক্ষিণের এলাকাগুলোর জন্য একটি বাফার জোন হিসেবে কাজ করে। এ অঞ্চলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এরই মধ্যে পানি স্বল্পতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মাটির গুণগত মান কমে যাচ্ছে এবং উদ্ভিদের অভাব মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জাতিসংঘের হিসাবে, এ ধরনের জমির ওপর নির্ভরশীল প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফলে এই মরুভূমির সম্প্রসারণ ঠেকানো এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।এ সম্পর্কিত বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মরুভূমির সম্প্রসারণ রোধে ২০০৭ সালে আফ্রিকান ইউনিয়ন একটি বড় পরিকল্পনা হাতে নেয়। আশা ছিল এ পরিকল্পনা অনুযায়ী বালুময় মরুর বিস্তার প্রতিরোধ করা যাবে। রক্ষা করা যাবে অন্তত সাহেল অঞ্চলের অধিবাসীদের।'গ্রেট গ্রিন ওয়াল' নামের এই পরিকল্পনার আওতায় আগামী দশকের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং ৮ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সবুজ প্রাচীর তৈরি করা হবে। সেখানে থাকবে তৃণভূমি, নানা উদ্ভিদ ও গাছপালা। এই সবুজ প্রাচীর তৈরির মাধ্যমে সাহারার পশ্চিমে সেনেগাল এবং পূর্বে জিবুতির মধ্যকার ১০ কোটি হেক্টর জমিতে প্রাণ ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। অপর্যাপ্ত ও অনিশ্চিত তহবিলের সঙ্গে সংগ্রাম করে শুরু হওয়া এই প্রকল্প গত জানুয়ারিতে ফ্রান্স, বিশ্ব ব্যাংক ও অন্য দাতাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা পায়। জাতিসংঘ ধারণা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার প্রয়োজন।সবুজ প্রাচীরটি সম্পন্ন হলে তা বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম কোরাল প্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের দৈর্ঘ্যের তিনগুণ বড় হবে এবং এটি হবে বর্তমানে পৃথিবীর বৃহত্তম জীবন্ত কাঠামো।লক্ষ্য পূরণে এখনো হাতে আছে নয় বছর। এরই মধ্যে ৪০ লাখ হেক্টর জমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪ শতাংশ।সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ভূমি সংরক্ষণে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে বনায়ন, কৃষি বনায়ন, সোপান পদ্ধতিতে চাষাবাদ উল্লেখযোগ্য। বালু ধরে রাখার জন্য ডান ফিক্সিং পদ্ধতিও এমনকি অনুসরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে নলকূপ খনন এবং সেচ ব্যবস্থা প্রণয়নের পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনে গ্রেট গ্রিন ওয়াল উদ্যোগের সমন্বয়কারী এলভিস পল টাঙ্গেম বিবিসিকে বলেন, 'এই ব্যবস্থা দেশগুলোতে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং সমস্ত কৌশল বাস্তবায়ন করতে আমাদের এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে। তবে এখন আমরা ভিত্তি স্থাপন করতে পেরেছি। আমরা এখন দেখছি, লক্ষ্য পূরণে আমাদের আরও কী কী কাজ বাকি আছে।গান ভুলে যাচ্ছে বিপন্ন পাখি মধুভুক রিজেন্ট | null | মরুকরণ প্রতিরোধে ৫ হাজার মাইল সবুজ প্রাচীর | international |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2022/04/27/764409 | পর্যায়ক্রমে যানজটের তীব্রতা কমে আসবে : মেয়র তাপস
| পর্যায়ক্রমে যানজটের তীব্রতা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ সন্ধ্যায় নগর ভবনের ফোয়ারা চত্বরে বিশিষ্ট নাগরিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সূচনা বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, চাঁদপুর-৪ আসনের মো. শফিকুর রহমান, ঢাকা-৪ আসনের সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন, রাজউক চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহম্মেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও আইনজীবীবৃন্দ | null | শেখ ফজলে নূর তাপস | national |
https://www.prothomalo.com/sports/cricket/মাশরাফির-শেষ-দেখছেন-তাঁরাও | মাশরাফির শেষ দেখছেন তাঁরাও | ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দলে তাই জায়গা হয়নি মাশরাফির। নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলছেন সাবেকরাও। বোলিংয়ের সময় শরীর এখনো সোজা থাকে, ভারসাম্যটাও দারুণ। সিম পজিশন নিঃসন্দেহে দেশসেরা। পাঁচ ওভারের স্পেল করে ফেলেন, তবু সাদা বলের পেটে তেমন আঘাতের দাগ পড়ে না। সব বল সিমে গিয়েই আঘাত করে। সব মিলিয়ে হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বলটা এখনো তাঁর কথা শোনে। কিন্তু ক্রিকেটীয় বাস্তবতা বলেও তো একটা কথা আছে। ৩৭ বছর বয়সী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সেই বাস্তবতা চিন্তা করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দলে রাখা হলো না। ওয়ানডের সফল বোলার মাশরাফিকে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দেখছেন পেসারদের প্রিয় কোচ সরওয়ার ইমরান। কয়েক দিন আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দেখেছেন প্রতিপক্ষ দলের কোচ হিসেবেও। এখনো বোলার মাশরাফির দক্ষতায় কোনো খুঁত দেখেন না তিনি। তবে প্রসঙ্গটা যখন বয়স আর ফিটনেসের, ক্রিকেটীয় বাস্তবতা মেনে নেওয়ার পক্ষে সরওয়ার ইমরানও। নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে সঠিকই মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ, 'মাশরাফির ম্যাচ ফিটনেসে ঘাটতি আছে, সেটা তো বোঝাই যায়। চোটের সমস্যা তো আছেই ওর। তারপরও বোলিং ভালো করে। তবে এভাবে চলতে থাকলে নতুনরা সুযোগ পাবে কীভাবে! সে জন্য নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে আমি সঠিকই বলব।' তাঁর শেষ কথা, 'হয়তো দুই বছর পর মাশরাফি আর ক্রিকেট খেলবে না। সে জন্য এখন থেকেই নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত।' নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তায় এখন শুধু ২০২৩ বিশ্বকাপ। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে মাত্র ৩৩টি ওয়ানডে ম্যাচ পাবে বাংলাদেশ দল। ভারত বিশ্বকাপের জন্য নতুনদের গড়ে নিতে টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে তাই খুব বেশি ম্যাচ আসলেই নেই। সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদের কাছেও তাই মাশরাফিকে নিয়ে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাটা সঠিক মনে হয়েছে। তাঁর মতে, সামনে তাকানোর এখনই সঠিক সময়। 'বোর্ড চেয়েছে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে। আর মাশরাফিরও একসময় যেতেই হবে। ও যদি খেলে যেতে চায়, তাহলে তো নতুন কেউ তৈরি হচ্ছে না। নতুন কেউ এসে যদি শুরুতে খারাপও করে, তাহলেও সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।' তবে মাশরাফির ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছায় তিনি কোনো সমস্যা দেখেন না। বরং ঘরোয়া ক্রিকেটে মাশরাফি থাকার ভালো দিকই দেখেন তিনি, 'অনেক ক্রিকেটার আছেন, যাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে গেছেন। কারণ, খেলাটার প্রতি ভালোবাসা। মাশরাফি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললে যে দলে খেলবে, সেই দল উপকৃত হবে। তার অভিজ্ঞতার কারণে তরুণেরাও উপকৃত হবে।' কয়েক দিন আগেই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে খেলায় ফিরে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যটাকে যেন নতুন করে জানাতে চেয়েছেন মাশরাফি। অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে মাশরাফি বরাবরই বিশেষ কিছু। পারফরম্যান্স তো বটেই, তাঁর উপস্থিতিই উজ্জীবিত করে দলকে। আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের প্রত্যাশা, ঘরোয়া ক্রিকেটে আগের মতোই উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকবে মাশরাফির, 'এতগুলো বছর ও সম্মানের সঙ্গেই খেলেছে। চ্যালেঞ্জটা তো মাশরাফি নেবেই। মাঠে পারফর্ম করেই টিকে থাকবে আশা করি। টি-টোয়েন্টিতে তো খুব ভালো করল। সামনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ হবে। আশা করি, ৫০ ওভারের খেলাটাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে সে আরও মেলে ধরবে।' সব লড়াইয়েরই শেষ আছে। আজ হোক, কাল হোক; মাশরাফিকেও একদিন স্পাইক জোড়া তুলে রাখতে হবে। মাহমুদের বিশ্বাস, পেশাদার ক্রিকেটের সেই কঠিন সিদ্ধান্তটাও তিনি সঠিক সময়েই নেবেন। তাঁর কথায়, 'একটা না একটা সময় তো খেলা ছাড়তেই হবে। শুধু মাশরাফি নয়; সাকিব, তামিম, মুশফিকদেরও একদিন খেলা ছাড়তে হবে। এটাই নিয়ম। কেউ চলে যায়, নতুনরা আসে।' নেতৃত্বে, পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছুই দিয়েছেন মাশরাফি। কিন্তু একসময় না একসময় তো থামতেই হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবার বুঝি সত্যিই বেজে উঠল মাশরাফির বিদায়ের বিউগল। | ক্রিকেট,মাশরাফি বিন মুর্তজা | ফারুক আহমেদ, সরওয়ার ইমরান, খালেদ মাহমুদ | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/14/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%b0/ | রাইমা থেকে নুসরাত, কেমন করে উৎসব কাটাচ্ছেন তারকারা | মঙ্গলবার ছিল সপ্তমী, আর বুধবার মহাষ্টমী। নবপত্রিকা স্নান, অঞ্জলি থেকে সন্ধিপূজো- পূজোর এই দু'দিন সব চেয়ে বেশি উন্মাদনার। সেরা সাজও অনেকেই তুলে রাখেন অষ্টমীর জন্যই। তারকারা কে কেমন সাজলেন? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিলেন অনেকে, ভাগ করে নিলেন নিজেদের সাজ থেকে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। নিখিল জৈন অষ্টমীর সকালেই ছবি দিলেন মাতৃ-আরাধনার। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবিতে নিখিল পূজোর আচারে মগ্ন। সঙ্গে বিবরণীতে লিখলেন, 'অসুর নিধনের জন্য মা আছেন। অশুভ বিনাশের জন্য আমরা আছি।' টলিউডে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রায় একাই রাজত্ব করেছেন বহুদিন। ষাট ছুঁই-ছুঁই, তবু দাপট কমেনি এতটুকু। অষ্টমীর সকালে ছেলে মিশুককে নিয়ে তাকে দেখা গেল প্রতিমার সামনে। সনাতনী পাজামা-পাঞ্জাবিতে পিতা, আর ধুতি-পাঞ্জাবিতে পুত্র। বিবরণীতে সকলের প্রিয় বুম্বাদা লিখলেন, 'মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গে খুব ভালো কাটুক।' বঙ্গ-কন্যা কাজল সপ্তমীতেই ছবি দিয়েছিলেন। প্রবাসী তারকা বাঙালিদের পূজোর মধ্যে তার পূজোর দিকে বরাবরই নজর থাকে সবার। এ বছর উজ্জ্বল গোলাপি রঙের শিফনের শাড়িতে সাজলেন তনুজা-কন্যা। প্রথম ছবিতে মৃদু হাসির আভা তার মুখ জুড়ে। পরের ছবিতে তিনি অট্টহাসির মেজাজে। অষ্টমীর সকালে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেল হাল্কা সাজে। জাঁকজমক নেই, তবু সাদা আনারকলিতে অল্প সাজে মাতৃমূর্তির সামনে নায়িকাকে খুবই স্নিগ্ধ দেখাচ্ছে। পুত্র কৃশিবকে কোলে নিয়ে আনন্দে মাতলেন অভিনেত্রী পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় সেই আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে। ছবিতে কৃশিবকে দেখা যাচ্ছে লাল-ধুতি পাঞ্জাবিতে, আর মা সেজেছেন গোলাপি শাড়িতে। গায়িকা ইমন চক্রবর্তী পূজোয় মাতলেন প্রেমে। স্বামীর গালে আলগা চুম্বন নিজস্বীতে ফ্রেমবন্দী করে দিলেন ইনস্টাগ্রামে। বিবরণীতেও লিখলেন প্রেমের বার্তা, ছড়ালেন উষ্ণতা। গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ও মজলেন প্রেমে, তার স্বস্তিকাকে নিয়ে। পাঞ্জাবি-শাড়িতে শোভন-স্বস্তিকা যুগলের রসায়ন যে পূজোয় জমে উঠেছে, তা বেশ স্পষ্ট। ভবানীপুরের মল্লিকবাড়ির পূজো দীর্ঘ দিন ধরে প্রসিদ্ধ। পূজোয় এই বাড়িতে বসে তারার হাট। কোয়েলও সেজে উঠলেন পূজোর সাজে। অষ্টমীর প্রাক্কালে সেই আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঠাকুরদালানে প্রতিমার সামনে বসে ছবি তুললেন। মনে হচ্ছে যেন দেবীর সামনে বসে আছেন আর এক দেবী! রাইমা সেনকে দেখা গেল শিফনের শাড়িতে। হালকা গোলাপি রঙের শাড়িতে নায়িকা অনন্যা। বিবরণিতে লিখলেন, 'শুভ মহাঅষ্টমী'। ছবি দিলেন সদ্যা মা হওয়া নুসরাতও। সপ্তমীতে তিনি সেজে উঠলেন নীল শাড়ি-হলুদ ব্লাউজে। সঙ্গে গলা জুড়ে ভারী গয়না, খোঁপায় জুঁইফুল ও হাল্কা লিপস্টিক। ইউভানকে নিয়ে দ্বিতীয় পূজো রাজ-শুভশ্রীর। গর্বিত মা-বাবা পুত্রকে নিয়ে প্রতিমার সামনে ছবি দিলেন। সঙ্গে বিবরণীতে শুভশ্রী লিখলেন, 'বলো দুগ্গা মাইকি জয়'। ঈশা সাহার ওয়েব সিরিজ 'ইন্দু' মুক্তির অপেক্ষায়। তার আগে অষ্টমীর সকালে মণ্ডপে প্রতিমার সামনে অভিনেত্রীকে দেখা গেল গোলাপি ব্লাউ়জ ও সাদা শাড়িতে। সঙ্গে জুড়লেন অষ্টমীর শুভেচ্ছা। | তারকা,নুসরাত,রাইমা | তারকাদের উৎসব | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/86944/%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%81-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8 | রেস্তোরাঁ সড়কে একদিন | মনের মানুষ যেখানে, কিসের সন্ধানে সেখানে যেতেন মহাত্মা লালন, তার উত্তরে তিনি নিজেই সন্দিগ্ধ ছিলেন। নইলে গানের মাধ্যমে সেটা বলে যাবেন কেন? আধ্যাত্মিক ব্যাপার-স্যাপারে সব সময় একটা সন্দিহান বিষয় আছে বা থাকে। কিন্তু ইহজাগতিক ব্যাপার-স্যাপারে সন্দেহের তেমন কোনো অবকাশ নেই। আমরা যারা নচ্ছার প্রকৃতির মানুষ, অধ্যাত্মবাদের উপলব্ধি যাদের জিভের ডগায়, সাধনার ধারায় যাদের চোখ-জিভ আর পাকস্থলী সিদ্ধ, তারা জানি আমরা কেন 'সেখানে' যাই। সাঁইজি জানতেন, একবিংশ শতকের উচ্ছন্নে যাওয়া চতুর প্রজন্ম নদীর ধারা না চিনলেও রাস্তাটা ঠিকই চিনে নেবে এবং সে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাবে গন্তব্যে, সঙ্গে মনের মানুষ থাক বা না থাক।চতুর মানুষেরা অনেকভাবেই সে রাস্তায় যেতে পারেন। মিরপুর রোডের রাপা প্লাজার কাছে দাঁড়ালে ডান দিকে নাক বরাবর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক। সেটি সোজা গিয়ে মিশেছে সাতমসজিদ রোডে। এ সড়কের এক প্রান্ত সাতমসজিদ রোডের যে জায়গাটায় গিয়ে মিশেছে, সে জায়গাটা ইংরেজি টি অক্ষরের মতো। ওটা ২৭ নম্বরের মোড়। সেই টি-তে পৌঁছানোর আগেই হাতের বামে ছিল জিনজিয়ান। ডানে বারবিকিউ টু নাইট। টি-এর মাথায় দাঁড়িয়ে বামে ঘুরলে হাতের বামে মোড়ের ওপরই পড়বে ফোর সিজন, কাচে ঘেরা, সামনে বেশ খানিকটা জায়গাসহ। তার পাশে ডান দিকে লাগোয়া ছায়ানটের সুন্দর দালান দাঁড়িয়ে আছে। এটা গেল একটা প্রবেশপথ। সেই টি অক্ষরের এক প্রান্ত চলে গেছে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকে। অর্থাৎ সেই দিক দিয়েও এ রাস্তায় আসা যায়।এসেই যখন পড়েছেন, এবার চলতে থাকুন। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের পর পাবেন শংকর। তারপর আবাহনী লিমিটেডের মাঠ। তারপর ধানমন্ডি ৮, ৯, ১১, ১৫ ইত্যাদি বিখ্যাত সব সড়কের মোড়। সেগুলো ছাড়িয়ে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড। তার পাশেই সীমান্ত স্কয়ার। সেটা ছাড়িয়ে সিটি কলেজ। তারপর আবার মিরপুর রোড। পুরো সড়কটি এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।কিন্তু কেন এই সড়কের এত বয়ান আজ এই ছুটির দিনে? কারণ যে আছে, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। হ্যাঁ, এই রাস্তাটাকে বলা যায় 'সুগন্ধ সরণি' কিংবা 'ফুড স্ট্রিট' অথবা আপনার মনে যা আসে তা-ই। সেই ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড় থেকে শুরু করে সিটি কলেজের মোড় পর্যন্ত নাতিদীর্ঘ সড়কটির দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য রেস্তোরাঁ। আক্ষরিক অর্থেই অসংখ্য। বিখ্যাত তো আছেই, গলি-ঘুপচিতে ঘাপটি মেরেও আছে অনেক রেস্তোরাঁ, রসিক ছাড়া তাদের খোঁজ পাওয়া একটু কঠিন। এ সড়কের কোনো কোনো বিল্ডিংয়ের ৯০ শতাংশজুড়ে আছে অদ্ভুত সব রেস্তোরাঁ। দুপুর গড়ালেই এ পাড়ার চেহারা বদলে যেতে থাকে। নিয়ন আলোর সাইনবোর্ডগুলো যখন দৃশ্যমান হয় রাতের আঁধার ভেদ করে, তখন বুঝতে পারবেন আপনি আছেন ঢাকার খাদ্য সরণিতে। কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিট কিংবা পুরোনো দিল্লির গলিগুলোতে যেমন সার দেওয়া খাবারের দোকান থাকে, ঢাকার ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডও তা-ই।২৭ নম্বর মোড় ছাড়ানোর পরই নাভানা জি এইচ হাইটস। সেখানে আছে গ্লোরিয়া জিনস, দিল্লি দরবার, সুমো, দা ফায়ার গ্রিল, ছাতিম, কমিক ক্যাফে, বুফে লঞ্জ, বিয়েবাড়ি রেস্টুরেন্ট। সুমো জাপানি খাবারের দোকান। এই দালানে আছে কোরিয়ান চেইন শপ বিবি.কিউ। এরপর একটু এগিয়ে আবাহনী মাঠের কোনায় ডান দিকে শংকরে আছে স্টার কাবাব, তার ওপরে পিৎজা হাট। একই বিল্ডিংয়ে আছে সেকেন্ড কাপ কফি কোম্পানি, দা ডাম্পলিং হাট, দা ইটার, পিৎজ্জা বার্গার, ওল্ড ট্রেন্স, এ ওয়ান ফুড অ্যান্ড পেস্ট্রি।যদি বুফে খেতে চান তাহলে যেতে হবে ১১/এ-তে। সেখানে বেশির ভাগ রেস্তোরাঁ আপনাকে দেবে বুফে খাওয়ার সুযোগ। সেখানে পাবেন ফরেস্ট লাউঞ্জ, স্পাইসি রমনা, দা বুফে স্টোরি, কাবাব ফ্যাক্টরি, দা ক্যাফে রিও, গার্লিক এন জিঞ্জার। এর পাশেই রাস্তার ডান দিকে পাবেন রূপায়ণের জেড আর প্লাজা। সেখানে আছে সাকিব'স ৭৫, হ্যাং আউট, হান্ডি, নইর, ডার্ক, ক্যাফে ওল্ড ১৯-সহ আরও কয়েকটি রেস্তোরাঁ। এ সড়কেই পাবেন 'কাচ্চি ভাই'য়ের ডেরা।বলে রাখি, ধানমন্ডি ৯/এ-এর কেবি স্কয়ারে প্রায় পুরোটাই রেস্তোরাঁর দখলে। সেখানে আছে প্রায় বিশটি রেস্তোরাঁ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চিজ, টেক আউট, রায়া বুফে, ম্যাড শেফ, ক্যাফে দ্রুম, অলটিটুড ইত্যাদি। এর পরেই ধানমন্ডি ৮/এ। এখানে আছে শেফস টেবল, ইউনিমার্টের ওপরে দুটি ফ্লোরজুড়ে। শেফস টেবল মানে বুঝতেই পারছেন, সেখানে ছোট ছোট অনেক ফুড কোর্ট আছে। যেকোনো ফুড কোর্টে বসে অর্ডার করতে পারেন পছন্দের খাবার। এর পাশে আনাম র্যাংগজ প্লাজায় আছে বুমারস। আনাম র্যাংগজ প্লাজা পেরিয়ে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড। সেখানে হাতের ডানে পাবেন কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজা। এই বিল্ডিংটিরও বেশির ভাগজুড়ে আছে বিভিন্ন পদের রেস্তোরাঁ। আছে ট্রাম্প ক্যাফে, ক্যাফে অসটেরিয়া, প্লাটিনাম ক্লাব, ক্যাপিটাল লাউঞ্জ, ক্যাফে ইউফোরিয়া, বুফে ও'ক্লক, পার্ক অ্যান্ড স্মার্ক ইত্যাদি। এর পাশের বিল্ডিংয়ে আছে মিনুস কিচেন, সুলতানস ডাইন। জিগাতলায় আছে সীমান্ত স্কয়ার। সেখানে বেশ কিছু ফুডকোর্ট আছে। সীমান্ত স্কয়ারের উল্টো দিকে ভূত। আর সিটি কলেজের কাছে পাবেন স্টার কাবাব।খেয়াল করলে দেখবেন, সাতমসজিদ রোডের দুই প্রান্তে দুটি স্টার কাবাব আছে। একটি সিটি কলেজের কাছে, অন্যটি আবাহনী মাঠের উল্টো দিকে।কী আছে এই রেস্তোরাঁগুলোয়? না ঘুরলে, না খেলে জানবেন কীভাবে? তবে মোটা দাগে বলা যায়, কাচ্চি বিরিয়ানি থেকে শুরু করে কন্টিনেন্টাল, জাপানিজ, কোরিয়ান, ভারতীয়, দেশি-সব ধরনের খাবারই পাবেন ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে। পাবেন বুফে থেকে শুরু করে সালাদ, চা থেকে কফি-সবই।সকাল থেকে রেস্তোরাঁগুলো মোটামুটি খোলা থাকলেও জমে ওঠে মূলত দুপুরের পর। চলে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত।ছুটির দিনে যাবেন নাকি সন্ধানে, সাঁইজির নাম নিয়ে? | সড়ক,জীবনধারা,জেনে নিন,আজকের জীবন,ছাপা সংস্করণ | ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কের কেবি স্কয়ারে রয়েছে প্রায় বিশটি রেস্তোরাঁ। এমন অনেক বিল্ডংয়ে অসংখ্য রেস্তোরাঁ রয়েছে একই সড়কে। সৈয়দ মাহামুদুর রহমান | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/01/16/%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%95%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be/ | বন্যা-চুমকীর নতুন বিজ্ঞাপন | এবারই প্রথম এক সঙ্গে বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন বন্যা মির্জা ও ফারজানা চুমকী। আইএফআইসি ব্যাংকের নতুন সেবা 'আমার অ্যাকাউন্ট'র প্রচারণার জন্য তারা দুজন আপন আহসানের নির্দেশনায় মডেল হয়েছেন। এরই মধ্যে রাজধানীর উত্তরার একটি শুটিং বাড়িতে দুটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আপন আহসান বলেন, বিজ্ঞাপন দুটিই অভিনয়নির্ভর এবং সংলাপনির্ভর, তাই যারা মঞ্চে এবং টিভিতে অভিনয় করে অভিনয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছেন আমি তাদের নিয়েই কাজ করতে চেয়েছি। জানুয়ারি মাসের শেষ প্রান্তে বিজ্ঞাপন দুটি প্রচারে আসবে। | চুমকী,নতুন,বন্যা,বিজ্ঞাপন | বন্যা-চুমকী | entertainment |
https://www.dailynayadiganta.com/usa-canada/322747/হাওয়াইয়ে-ভূমিকম্প | হাওয়াইয়ে ভূমিকম্প | যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়েভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫। আজ সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ১: ৫০: ৪৮টায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা একথা জানিয়েছে। খবর সিনহুয়া'র। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১৯.৪০৫৩৩৩৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ১৫৫.২৮৪৩৩৩৩ ডিগ্রী পশ্চিম দ্রাঘিমাংশে ভূপৃষ্ঠের ১.১৪ কিলোমিটার গভীরে। | null | ভূমিকম্প | international |
https://www.ajkerpatrika.com/90268/%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6 | চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলেন নার্গিস বেগম | ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন মোছা. নার্গিস বেগম। এর আগে চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ছোট মনির।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলিফ নুর মিনি, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নূরুল ইসলাম মোহন।আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তোতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিনহাজ উদ্দিন, সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য আজহারুল ইসলাম, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ সচেতন নাগরিকেরা উপস্থিত ছিলেন। | টাঙ্গাইল,চেয়ারম্যান,ভূঞাপুর,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,আজকের টাঙ্গাইল | ভূঞাপুরে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে গতকাল ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় সাংসদ ছোট মনির। | national |
https://www.prothomalo.com/world/pakistan/প্রখ্যাত-মানবাধিকারকর্মী-ও-সাংবাদিক-আই-এ-রেহমানের-মৃত্যু | প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক আই এ রেহমানের মৃত্যু | পাকিস্তানের খ্যাতিমান মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, কলাম লেখক ইবনে আবদুর রেহমান আর নেই। আজ সোমবার লাহোরে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। তিনি আই এ রেহমান নামেই বেশি পরিচিত। আই এ রেহমানের পরিবারের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম 'ডন' জানিয়েছে, ৯০ বছর বয়সী আই এ রেহমান ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তিনি তিন ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ২০১৫ সালে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। আই এ রেহমান ১৯৩০ সালের সেপ্টেম্বরে অবিভক্ত ভারতের হরিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। ৬৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সাংবাদিকতা করেছেন। পাকিস্তানের পত্রিকা ডন-এ নিয়মিত কলাম লিখতেন। হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তানে (এইচআরসিপি) সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি উর্দু ভাষার 'দৈনিক আজাদ'-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ এক দশক তিনি সাপ্তাহিক 'ভিউ পয়েন্ট'-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় জিয়াউল হকের সেনাশাসনের কট্টর সমালোচক ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত 'পাকিস্তান টাইমস'-এর এডিটর-ইন-চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আই এ রেহমান। এইচআরসিপির পরিচালক হিসেবে টানা দুই দশক কাজ করেছেন আই এ রেহমান। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির মহাসচিবের দায়িত্ব সামলেছেন। আই এ রেহমানের লেখা তিনটি বই রয়েছে। প্রখ্যাত সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী আই এ রেহমানের মৃত্যুতে পাকিস্তানের নাগরিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন অনেকেই। আইনজীবী সালমান আকরাম রাজা টুইটারে শোক প্রকাশ করে লিখেন, 'আই এ রেহমানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।' শিক্ষাবিদ আমর আলী বলেন, 'দেশজুড়ে মানবাধিকারকর্মীদের সাহসের প্রতীক ছিলেন তিনি।' পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি শোক জানিয়ে বলেছেন, 'পাকিস্তান একজন মহান ব্যক্তিত্বকে হারাল।' | পাকিস্তান,সাংবাদিক,মৃত্যু | আই এ রেহমান | international |
https://samakal.com/politics/article/17101637/সংবিধানের-বাইরে-আমরা-যাবো-না-নাসিম | সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না: নাসিম |
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, 'নির্বাচনকালীন সরকার বা তত্ত্ববাধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে কোনো লাভ নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না, এটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। এর জন্য অহেতুক মাঠ গরম করবেন না। ১০ বছর আগে যা হয়েছে এখন আর তা হবে না।'বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার দুর্গম চর তেকানীতে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিম বলেন, 'মানুষ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়। মানুষ হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও চায় না। জ্বালাও-পোড়াও চক্রান্তকারীদের এ দেশের জনগণ প্রতিহত করবে।'জনসভায় মোহাম্মদ নাসিম সরকারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন এবং সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, উদারতা ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের বাংলাদেশের প্রশংসার কথা তুলে ধরেন।২০১৪ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'সে সময় নির্বাচন প্রতিহত করার নামে বিএনপি জামায়াত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। তাদের আমলেই জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে দেশের সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে। ওরা ক্ষমতায় এলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। তাই দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে উন্নয়ন ও জঙ্গি দমনের সফল নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।' এ জন্য জনগণকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, একাত্তরের ঘাতকেরা এবং জঙ্গিবাদের মদদদাতারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়েও যাতে নির্বাচিত হতে না পারে সে জন্য দলীয় নেতাকর্মী এবং জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।যমুনা নদীবেষ্টিত দুর্গম চর কাজীপুরের তেকানী ইউনিয়নের কিনারবেড় হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত জনসভার আয়োজন করে তেকানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনার রশীদ। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাবেক এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, আব্দুল লতিফ তারিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল প্রমুখ।
| স্বাস্থ্যমন্ত্রী,মোহাম্মদ নাসিম,নাসিম,নির্বাচনকালীন সরকার,তত্ত্বাবধায়ক সরকার,জাতীয় নির্বাচন | জনসভায় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/12/%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a3-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be/ | সবকিছুতে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে: আলাল | সব জায়গায় রাজনীতিকরণ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। আজ শনিবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জাতীয় স্মরণ মঞ্চের উদ্যোগে কবি ফররুখ আহমেদ এর বসতভিটা আক্রান্ত: ঐতিহ্য রক্ষায় করণীয় ও তার ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন। আলাল বলেন, সবকিছুকে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। যে রাজনীতির ক্ষেত্রে শুধু একজনের নামে নামে একাকার হয়ে গেছে। সেখানে তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, জেনারেল ওসমানী নেই। নিজেদের ঘরের মধ্যে অস্বীকার করে অন্যরা কেন করবেন? তিনি বলেন, এই দেশে এমন বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর আছে যিনি শিক্ষকতা ছেড়ে যুবলীগের সভাপতি হতে চান। আমরা এ ধরনের ভাইস-চ্যান্সেলর দেখেছি যে বিয়ের আগে রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ক্লাস নেই। আগে আকাম-কুকাম যা করেছে করেছে ভাইস চ্যান্সেলর এর শেষ সময়ে রাত তিনটার সময় ক্লাস নিয়েছে। আমরা এমন ভাইস-চ্যান্সেলর ও দেখেছি যে ছাত্রলীগের সঙ্গে টেন্ডার নিয়ে তুমুল ঝগড়া হয় সে অডিও ফাঁস হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয় নাই। এই হলো আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য-সংস্কৃতি এই স্বাস্থ্য ও নির্বাচন কমিশনের দুজন ব্যক্তি আছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সিইসি এই দুজনের ছবি যদি পাশাপাশি রাখেন তাহলে মনে হবে মেলায় হারিয়ে যাওয়া দুই ভাই। দুজনের সমান দায়িত্ববোধ, সমান কথাবার্তা বলেন। স্ট্যান্ডার্ড মোটামুটি কাছাকাছি। যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে এবং অধিকার আদায়ে উদ্ভুদ্ধ করা এ দুটো আলাদা জিনিস। এটা বর্তমান সরকারকে কারা বোঝাবে? সেই বোঝানোর জন্য যে লেখনীর প্রয়োজন ছিল। যে লেখকের প্রয়োজন ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম কবি ফরুক আহমেদ। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ। | আলাল,ফররুখ আহমেদ,মুক্তিযুদ্ধ,সভা | জাতীয় প্রেসক্লাবের জাতীয় স্মরণ মঞ্চের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/323620/যেভাবে-ধরা-পড়লো-লাবনী | যেভাবে ধরা পড়লো লাবনী | ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা থেকে লাবনী খাতুন (২০) নামে এক নারী ইয়াবা কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে বোয়ালমারী উপজেলার ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা। বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, লাবনী দীর্ঘদিন যাবত মাদক কারবারির সাথে জড়িত। বুধবার রাত ১০টার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদরের ঠাকুরপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। স্থানীয়ভাবে সে 'মাদকসম্রাজ্ঞী লাবনী' নামে পরিচিত। লাবনীকে আটকের জন্য এর আগে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর সাথে কে কে আরো জরিত সে ব্যপারে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ২শ' ইয়াবাসহ ইউপি মেম্বার আটক ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় ২শ' পিস ইয়াবাসহ মতি কাজী (৪২) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারকে আটক করেছে র্যাব। সে বোয়ালমারীর সুতাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুতাশী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার পিতার নাম দাউদ কাজী। র্যাব জানায়, জনপ্রতিনিধির ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন যাবৎ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানা এলাকায় অন্তত ১০ জন ফরিয়া বিক্রেতাকে দিয়ে মতি কাজী ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটক মতি কাজীকে বোয়ালমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়। আরো দেখুন :গোপালগঞ্জে নারী মাদক কারবারিসহ গ্রেফতার ৩ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় রাজিয়া বেগম (৩০) নামে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার নোয়াদা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অপর আসামীরা হলেন, আন্ত: জেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য ও মাদক কারবারি সাইফুল ইসলাম বাদশা (৩৫) ও সোহেল (২২)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রাজিয়া বেগম ও সাইফুল ইসলাম বাদশা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। এদের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার চিলমারী গ্রামে। অপর আসামী সোহেল কোটালীপাড়া উপজেলার নোয়াদা গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম বাদশা মাদক ব্যবসায়ী ও আন্ত: জেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম একজন মাদক ব্যবসায়ী । এদেরকে নোয়াদা গ্রামের মাদক কারবারি সোহেলের বাড়ির পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় এদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল, ২০ পিছ ইয়াবা, মোটর সাইকেলের ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়। সাইফুল ইসলাম বাদশার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডজন খানেকের মতো মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। | null | আটক লাবনী খাতুন (২০)। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/16/%e0%a6%86%e0%a6%9f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87/ | আটলান্টা পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড | যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ রেশার্ড ব্রকসের মৃত্যুকে 'হত্যাকাণ্ড' বলে ঘোষণা দিয়েছে ফুল্টন কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনারস অফিস। ব্রকসের পিঠে দুটি গুলি লাগায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার মৃত্যু ঘটে বলে প্রমাণ মিলেছে ময়নাতদন্তে। গত রবিবার ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ব্রুকসের মৃত্যুর প্রক্রিয়া পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে জর্জিয়ার তদন্ত ব্যুরো জানায়, গত শুক্রবার ওয়েন্ডির রেস্টুরেন্টের সামনে অপেক্ষা করার সময় গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন ব্রুকস। গাড়িটির কারণে রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফোনে পুলিশকে অভিযোগ জানান এর এক কর্মী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্রুকসের মাদক পরীক্ষা করে। এ সময় তিনি মাদক-প্রভাবিত ছিলেন বলেও প্রমাণ হয়। পরীক্ষা চলাকালীন তিনি সহযোগিতা করেন পুলিশকে। কিন্তু পরে তাকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মারা যান এই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। এর পরপরই ব্রুকসের হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে শত শত মানুষ। শনিবার সন্ধ্যার দিকে আটলান্টার ইন্টারস্টেট-৭৫ এলাকার একটি প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। যে রেস্টুরেন্টে পুলিশের গুলিতে মারা যান ব্রুকস, সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। ব্রুকস হত্যাকাণ্ডের জেরে পদত্যাগ করেন আটলান্টার পুলিশপ্রধান এরিকা শিল্ডস। গত রবিবারই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এর আগে গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ। এরপর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের দেশে দেশে। মার্কিন প্রশাসনের বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য। এর মধ্যেই ব্রুকসের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিক্ষোভের আগুন আরো বাড়িয়ে দেবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা। | আটলান্টা,কৃষ্ণাঙ্গ,পুলিশ,রেশার্ড ব্রুকস,হত্যাকাণ্ড | রেশার্ড ব্রুকস | international |
https://www.ajkerpatrika.com/98451/%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%81-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE | আলু-মরিচের চারা নিয়ে চিন্তা | টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে আলু, মরিচ ও সরিষাখেতের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। খেতে পানি জমে যাওয়ায় চারা পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।দাউদকান্দির শহীদনগরের আলুচাষি ফারুক মিয়া জানান, টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। এতে সদ্য বপণ করা আলুবীজ পচে যেতে পারে। এবার তিনি ছয় বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন। এবার তিনি দুশ্চিন্তা মুক্ত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে চারা জন্মানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সারওয়ার জামান বলেন, উপজেলায় টানা বৃষ্টির কারণে আলুচাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বুঝতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।গতকাল তিতাস উপজেলার গাজীপুর পশ্চিম চকের গিয়ে দেখা গেছে, দুলাল ফকির তাঁর মরিচ খেতে জমা বৃষ্টির পানি বালতি দিয়ে নিষ্কাশনের চেষ্টা করছেন। তিনি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে সাড়ে চার কানি জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। তিনি জানান, বৃষ্টিতে গাছের মূলে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। রোদ উঠলে মরিচ গাছ মারা যেতে পারে। এ ছাড়া এই এলাকায় আলু, ধনিয়া পাতা, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল চাষিরাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট এই বৃষ্টিতে ইরি, বোরো ধানের বীজতলা, করলা, ধনিয়া, মুলা, লালশাক, লাউ, কুমড়াসহ অন্যান্য শীতকালীন শাকসবজি খেতেরও ক্ষতি হয়েছে।তিতাস উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তিতাস উপজেলার অনেক ফসলের খেত প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলে মাঠ পর্যবেক্ষণ করলে বলতে পারব কী কী ফসলের ক্ষতি হয়েছে।' | কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,তিতাস,দাউদকান্দি,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,আজকের কুমিল্লা | বৃষ্টিতে দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের একটি আলুখেতে জলাবদ্ধতা। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/605740/পাঞ্জশিরে-অভিযান-একটি-জেলা-দখল-করে-নিয়েছে-তালেবান | পাঞ্জশিরে অভিযান, একটি জেলা দখল করে নিয়েছে তালেবান | আফগানিস্তানের দুর্গম পাঞ্জশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে তালেবান বাহিনী। তারা ইতোমধ্যেই একটি জেলা দখল করার কথা ঘোষণা করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তালেবান বাহিনী এখন সেখানে অভিযান শুরু করেছে। অবশ্য নতুন এক অডিও বার্তায় তালেবানের শীর্ষ আলোচক আমির খান মোত্তাকি 'এখনো বিদ্রোহ করতে থাকা লোকজনকে' বোঝাতে বা তাদের ছেড়ে চলে আসার জন্য পাঞ্জশিরের অধিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা কিছুই করতে পারবে না। ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সহায়তায়ই তারা কিছু করতে পারেনি। তারা এখনো করতে পারবে না। তিনি আবারো সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাঞ্জশির সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কিছু সময় আলোচনা চলছিল। কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি। তালেবানের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট অনুযাযী, তারা চার দিক থেকে পাঞ্জশিরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা প্রদেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শুতুল জেলা দখল করেছে। এদিকে তালেবানবিরোধী পক্ষের মুখপাত্র ফাহিম দস্তি বলেন, তালেবানের একটি বড় হামলা প্রতিরোধ করা হয়েছে। তালেবানের অনেক লোক হতাহত হয়েছে। সূত্র : ইয়েনি সাফাক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা তালেবানের : আখুনজাদাই চালাবেন দেশআফগানিস্তানের পরবর্তী সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেছে তালেবান। বুধবার তারা জানিয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদার হাতেই দেশের চূড়ান্ত কর্তৃত্ব থাকবে। তবে একজন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী তার অধীনে থাকবেন। গ্রুপটি জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের আলোচনা শেষ হয়েছে। তারা শিগগিরই এক ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। তালেবানের সংস্কৃতি কমিশনের সদস্য আনামুল্লা সামানগানি বলেন, নতুন সরকারের আলোচনা প্রাায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রিসভা গঠন নিয়েও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারে বিশ্বাসীদের কমান্ডারের (আখুনজাদা) উপস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি হবেন সরকারের প্রধান। এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তালেবানের সরকার সম্ভবত ইরানের মডেল অনুসরণ করবে। ইরানে একজন প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভা থাকলেও সর্বোচ্চ নেতার ধর্মীয় কর্তৃত্ব থাকে। তিনিই দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। তিনিই নীতি নির্ধারণ করেন, প্রেসিডেন্টও তার অধীনে থাকেন। রাষ্ট্রীয় যেকোনো বিষয়ে তার মতামতই চূড়ান্ত। আফগানিস্তানের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানান, নতুন সরকারব্যবস্থা না হবে প্রজাতন্ত, না হবে আমিরাত। এটা হবে ইসলামি সরকার। হায়বাতুল্লাহ থাকবেন সরকারের শীর্ষে। তিনি প্রেসিডেন্ট হবেন না। তিনি হবেন আফগানিস্তানের নেতা। তার অধীনে একজন প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট থাকবেন। সূত্র : আল আরাবিয়া | পাঞ্জশির,তালেবান,আফগানিস্তান,বিদ্রোহ | পাঞ্জশিরে অভিযান, একটি জেলা দখল করে নিয়েছে তালেবান | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/21/%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0/ | মোস্তাকের প্রেতাত্মাদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের | আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে থাকা হাওয়া ভবনের দোসর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোস্তাকের প্রেতাত্মাদের তালিকা করে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায়, তাদের তালিকা তৈরির অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী আছমত আলী খান সম্পর্কে কটূক্তি করায় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করা হয়। আজ সোমবার (২১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে, শাহাবুদ্দিন মোল্লাকে বহিস্কারের আগ পর্যন্ত সারাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘরোয়াভাবে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। তাতে কাজ না হলে, আরো কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে ৪ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আমীর হোসেন মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগে ঘাপটি মেরে থাকা হাওয়া ভবনের দোসর ও মোস্তাকের প্রেতাত্মারাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী আছমত আলী খানকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। অবিলম্বে কটূক্তিকারী শাহাবুদ্দিন মোল্লাকে বহিস্কার করতে হবে। সেইসঙ্গে আওয়ামীলীগে ঘাপটি মেরে থাকা অন্য দোসরদেরও খুঁজে বের করতে হবে। বর্তমান সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে, তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব দেয়া হোক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মতো আবারো এই দোসরদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে আমরা প্রস্তুত আছি। | প্রেতাত্মা,বঙ্গবন্ধু,মোস্তাক,হাওয়া ভবন | ঢাকা মহানগর সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তালিকা তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চেয়েছেন। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/575201/অস্থিতিশীলতার-পর-প্রথম-প্রকাশ্যে-সাবেক-যুবরাজের-সাথে-জর্দানের-বাদশাহ | অস্থিতিশীলতার পর প্রথম প্রকাশ্যে সাবেক যুবরাজের সাথে জর্দানের বাদশাহ | জর্দানের বাদশাহকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতারি অভিযান ও সাবেক যুবরাজকে গৃহবন্দী করার জেরে দেশটিতে গত সপ্তাহের অস্থিতিশীলতার পর প্রথমবারের মতো সৎ ভাই ও সাবেক যুবরাজ শাহজাদা হামজা বিন হুসেইনের সাথে প্রকাশ্যে এসেছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন হুসেইন। রোববার দেশটির স্বাধীনতার শতবর্ষ উপলক্ষে এক আয়োজনে তারা প্রকাশ্যে মিলিত হয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে তাদের রাজধানী আম্মানের বাদশাহী রাগদান প্রাসাদে রাজকীয় সমাধিসৌধে সাবেক বাদশাহ হুসেইন বিন তালালের কবর জেয়ারত করতে দেখা যায়। এই সময় বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন হুসেইন ও সাবেক যুবরাজ শাহজাদা হামজা বিন হুসেইন ছাড়াও সাবেক যুবরাজ ও বাদশাহর চাচা শাহাজাদা হাসান বিন তালাল ও বর্তমান যুবরাজ শাহজাদা হুসেইন বিন আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৩ এপ্রিল বাদশাহ আবদুল্লাহকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শাহজাদা হামজাকে গৃহবন্দী করা হয় এবং রাজপরিবারের এক সদস্যসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল বাদশাহর প্রতি আনুগত্য জানিয়ে সাবেক এই যুবরাজ এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। সাবেক যুবরাজের বাদশাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের পর ৭ এপ্রিল রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন, শাহজাদা হামজা তার তদারকিতেই নিজ প্রাসাদে পরিবারের সাথে রয়েছেন। ওই ভাষণে তদন্তের ভিত্তিতে 'ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার' সাথে বাদশাহকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আইনি প্রক্রিয়ায় অধীনে সম্পন্ন হবে জানান জর্দানের বাদশাহ। জর্দানের সাবেক বাদশাহ হুসেইন বিন তালাল ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যান্সারে দীর্ঘদিন রোগভোগের পর ইন্তেকাল করলে বর্তমান বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন হুসেইন সিংহাসনে বসেন। এই সময় তিনি তার সৎভাই হামজা বিন হুসেইনকে যুবরাজ হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে ২০০৪ সালে এই মর্যাদা শাহজাদা হামজার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়। ওই সময় বাদশাহ আবদুল্লাহ বিবৃতিতে জানান, তিনি শাহজাদা হামজাকে দায়িত্ব মুক্তি দিচ্ছেন যাতে তিনি (শাহজাদা হামজা) কাজের স্বাধীনতা পান এবং বাদশাহর দেয়া যেকোনো মিশন বা দায়িত্ব স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে তিনি পালন করতে পারেন। বর্তমানে জর্দানের যুবরাজ হিসেবে বাদশাহ আবদুল্লাহর বড় ছেলে, ২৬ বছর বয়সী তরুণ শাহজাদা হুসেইন বিন আবদুল্লাহ দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র : মিডল ইস্ট আই | মধ্যপ্রাচ্য,জর্দান | সাবেক বাদশাহ হুসেইনের কবর জিয়ারতে বাদশাহ আবদুল্লাহ (সামনে লাল কেফিয়া পরা) ও সাবেক যুবরাজ হামজা (পেছনে বাম থেকে ২য়) | international |
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/324706/ফিলিস্তিন-সমস্যার-যৌক্তিক-সমাধান-গণভোট-খামেনি | ফিলিস্তিন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান গণভোট : খামেনি | ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল খামেনি বলেছেন, প্রকৃত ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজনই হচ্ছে ফিলিস্তিন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা রোববার সন্ধ্যায় দেশের প্রখ্যাত গবেষক ও অধ্যাপকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিশ্বের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পন্থা অর্থাৎ জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। অন্তত ৮০ বছরফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বংশ পরম্পরায় যারা বসবাস করেছে তাদের অংশগ্রহণে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। ফিলিস্তিনের ভেতরে ও বাইরে থাকা মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টানসহ সব প্রকৃত ফিলিস্তিনি এ গণভোটে তাদের মতামত দেবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতাবলেন, ফিলিস্তিনের সব প্রকৃত নাগরিকের অংশগ্রহণে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব ইরানের উদ্যোগে জাতিসঙ্ঘে উত্থাপন ও তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এটা কি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাহলে কেন ইউরোপীয়রা তা মানতে রাজি নয়? ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বর্তমান যুগের শিমার হিসেবে উল্লেখ করে খামেনি বলেন, নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইউরোপ সফরে গিয়ে নিজেদেরকে মজলুম হিসেবে তুলে ধরে দাবি করেছে ইরান লাখ লাখ ইহুদিকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু ইরান যে সমাধানের পন্থা বাতলে দিয়েছে তা হলো সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং গণতান্ত্রিক নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি ইউরোপীয় সরকারগুলোর সমালোচনা করে বলেন, ইউরোপীয়রা নেতানিয়াহুর অভিযোগ শুনেছে আর মাথা নেড়েছে। কিন্তু তারা একবারও বলেনি, (নেতানিয়াহু) তোমরাইতো গাজা ও জেরুসালেমে এ ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছ। সন্ত্রাসীদের কাছে শিয়া-সুন্নির কোনো পার্থক্য নেই, বেসামরিক মানুষই তাদের টার্গেট : খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, আমেরিকা এখন সন্ত্রাসীদেরকে আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা এ অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতিকে যৌক্তিক ও বৈধ হিসেবে তুলে ধরতে চায়। একইসাথে ইসরাইলের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে চায় তারা। ফিকাহ শাস্ত্র সংক্রান্ত উচ্চতর ক্লাসেসর্বোচ্চ নেতা বলেন, গত কয়েক মাসে দায়েশ আফগানিস্তানে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। যারা দায়েশ সৃষ্টি করে সেটাকে সিরিয়া ও ইরাকের জনগণের ওপর জুলুম ও নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করেছে তারাই আজ মধ্যপ্রাচ্যে পরাজিত হওয়ার পর দায়েশকে আফগানিস্তানে পাঠাচ্ছে। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেন, মার্কিন সমর্থিত সন্ত্রাসীদের কাছে শিয়া-সুন্নির কোনো পার্থক্য নেই। শিয়া-সুন্নিসহ বেসামরিক মানুষ তাদের টার্গেট। আমেরিকা এ অঞ্চলের মানুষের ভালো দেখতে চায় না। তারা এখানকার সরকার ও জাতিগুলোকে সব সময় ব্যস্ত রাখতে চায় যাতে তারা ইহুদিবাদের মোকাবিলা করতে না পারে। তিনি বলেন, মার্কিন উপস্থিতিই আফগানিস্তানে অনিরাপত্তার মূল কারণ। গত ২০ বছর ধরে ধর্মের নামে যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে সেসবের পেছনে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে মার্কিনীদের হাত ছিল। এখনও তারা অনিরাপত্তা সৃষ্টির মাধ্যমে সেখানে নিজেদের সামরিক উপস্থিতিকে যৌক্তিক হিসেবে তুলে ধরতে চায়। তারা এর মাধ্যমে আর্থ-রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। | null | ফিলিস্তিন সমস্যার যৌক্তিক সমাধান গণভোট খামেনি | international |
https://www.ajkerpatrika.com/105341/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%96%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE | সরকারি দল আনন্দ-ফুর্তি করতে রাস্তা দখল করে: জিএম কাদের | জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, 'সরকারি দল আনন্দ-ফুর্তি করতে মাঝে মাঝে রাস্তা দখল করে। এসময় লাখো মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হয়। রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারে না। পরে দলের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তাদের ফুর্তি করাটাই যেন সবচেয়ে জরুরি।'জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।জিএম কাদের বলেন, 'আওয়ামী লীগ ও বিএনপি না করলে যোগ্যতা থাকলেও চাকরি মেলে না, ব্যবসা করতে পারেনা। একটি আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৬ বছরে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এর বাইরে আরো কত শত কোটি টাকা পাচার হয়েছে তার কোন হিসাব নেই।'ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে জাপা নেতা বলেন, 'প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ওপর হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রার্থীদের মাঠে দাঁড়াতে দিতে চাচ্ছে না, পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হতে সরকার সমর্থকরা সব ধরনের অনিয়ম করছে।'জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'যে মুক্তির জন্য দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে, ত্রিশ লাখ শহীদ জীবন দিয়েছে, লাখ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে-সেই মুক্তি আমরা আজও পাইনি। তাই আবারো মুক্তির সংগ্রাম শুরু করতে হবে। এবারের মুক্তির সংগ্রাম হয়তো আরো কঠিন হবে। হয়তো আরো বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আরো বেশি রক্ত দিতে হবে।' তাই মুক্তির আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন পার্টির চেয়ারম্যান।এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, 'আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা একতরফা প্রেম করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই আগামীতে নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে বলে।' | আওয়ামী লীগ,জাতীয় পার্টি,শোভাযাত্রা | জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/27534/%E0%A7%A7-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%C2%A0 | ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে যেতে পারবেন পর্যটকেরা | আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে ঘুরতে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। বিভিন্ন স্পটে ঘোরাফেরা এবং জেলেদের মাছ শিকারসহ বনজ সম্পদ আহরণের পাশ পারমিটও দেওয়া হবে এই দিন থেকে। গতকাল রোববার বিকেলে বন বিভাগের এক সভায় এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।বেলায়েত হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। বন বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় পর্যটকেরা সুন্দরবনের দর্শণীয় কটকা, কচিখালী, দুবলা, হিরণপয়েন্ট, করমজল, হাড়বাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে পারবেন। এ ছাড়া জেলেরা মাছ শিকারের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে বনে প্রবেশ করতে পারবেন।ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন খুলনার সভাপতি এম নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, খুলনায় শতাধিক ট্যুর অপারেটর রয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি রয়েছে রেজিষ্ট্রিকৃত। পর্যটনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী। সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। | বাগেরহাট,খুলনা বিভাগ,সুন্দরবন,পর্যটন,শরণখোলা,পর্যটনশিল্প | আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনের দর্শণীয় কটকা, কচিখালী, দুবলা, হিরণপয়েন্ট, করমজল, হাড়বাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে পারবেন পর্যটকেরা। ইসতিয়াক হাসান | national |
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2021/02/02/614525 | অচিরেই বাংলাদেশ এনডিবির সদস্য হবে: অর্থমন্ত্রী
| ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নামের আদ্যক্ষর নিয়ে গঠিত ব্রিক্স জোটের প্রতিষ্ঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) সদস্য হওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং এনডিবির প্রেসিডেন্ট মার্কোস প্রাদো ট্রয়জোর ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এই সভা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং এনডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সভার শুরুতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এনডিবির প্রেসিডেন্টকে ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এনডিবির প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশর প্রস্তাব বিবেচনা করেন। অতি দ্রুতই পরিবারসহ বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। এনডিবির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালের ২১ জুলাই। ব্যাংকটির মোট মূলধন ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। আর প্রাথমিক মূলধন ৫ হাজার কোটি ডলার। ২০১৬ সাল হতে এনডিবি অবকাঠামো ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্রিক্সভুক্ত দেশে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করেছে। তাছাড়া, ব্যাংকটি অবকাঠামো, সেচ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পয়োনিষ্কাশন, সবুজ জ্বালানি ও নগর উন্নয়ন খাতসংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ প্রদান করে থাকে। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে সদস্য রাষ্টগুলোর কার্যক্রমে ব্যাংকটি অংশগ্রহণ করছে। ২০২০ সালে ব্যাংকটি একসাথে ৭২টি প্রকল্পে ২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। এনডিবির সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ব্যাংকের পণ্য ও পরিষেবা ক্রয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, সহনীয় সুদ হারে ঋণ নেওয়ার সুযোগ তৈরি; ব্যাংকের কৌশল, নীতি, পদ্ধতি ও কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং সদস্য দেশের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার সুযোগটি সীমিত হয়ে যাবে। তাছাড়া পাঁচ বছর মেয়াদি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫), টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), ভিশন-২০৪১, ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার লক্ষ্যে এনডিবি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অর্থায়নের উৎস হিসেবে সূচনা করবে বলে আশা করা যায়।
আজ ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং এনডিবির প্রেসিডেন্টের মধ্যে এনডিবিতে বাংলাদেশের ভূমিকা, নতুন ব্যাংকের ঋণের শর্তাবলিসহ বিনিয়োগ খাত, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে এনডিবির সদস্যভুক্তির মূল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিশদভাবে আলোচনা করা হবে। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
| null | অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/06/19/%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%b8-%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%bf/ | হেনস্তার শিকার মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী | হেনস্তার শিকার হলেন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। তাও আবার কলকাতার রাস্তায়! একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে সোমবার রাতে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথেই একদল যুবকের হাতে হেনস্তার শিকার হন তিনি। শুধু তাই নয়, তার গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয়া হয়। আর এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঊষসীকে ধাক্কা মারার পাশাপাশি চালককে মারধর করা হয়। এমনকি বেশ কয়েক কিলোমিটার ধাওয়া করে এসে তাকে গাড়ি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টাও করা হয়। হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় মোবাইলও। অভিযোগে ঊষসী জানিয়েছেন, সোমবার কাজ শেষ করে বাইপাসের ধারের একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে এক সহকর্মীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাত তখন পৌনে ১২টা। এক্সাইড মোড় থেকে গাড়ি এলগিন রোডের দিকে যেতেই একটি বাইক এসে গাড়িতে ধাক্কা মারে। গাড়ি থামতেই ওই বাইকচালক এবং তার বন্ধুরা এসে ঝামেলা শুরু করেন। তারাও অন্য কয়েকটি বাইকে যাচ্ছিলেন। চালককে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে ঘটনাস্থলে অন্তত ১৫ জন যুবক ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ঊষসী। | null | মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/03/%e0%a6%86%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%93-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%ae/ | আবারও এক ব্যবসায়ীর প্রেমে পড়লেন শ্রাবন্তী | প্রেম আর বিয়ের সংখ্যা যেন সিনেমার মতোই বেড়ে চলছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে। ক্লান্তিহীন এ যাত্রায় আবারও প্রেমে পড়লেন তিনি। এ নিয়ে টলিউডে চলছে নানা গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে, বাইপাসের ধারের যে আবাসনে তিনি থাকেন প্রেমিকও সেই আবাসনেরই বাসিন্দা। নাম অভিরূপ নাগ চৌধুরী। পেশায় ব্যবসায়ী। তবে এই সম্পর্কের বয়স খুব বেশি দিন নয়, একমাস হলো মাত্র। কিন্তু যারা শ্রাবন্তীকে কাছ থেকে চেনেন, তারা জানেন, মন দেওয়ার জন্য একমাস কম সময় নয়। সম্প্রতি দু'জনে নাকি সম্পর্কের একমাস উদযাপন করতে পার্টিও করেছেন। একই আবাসনে থাকলেও টাওয়ার সিক্সের বাসিন্দা শ্রাবন্তীর সঙ্গে অন্য টাওয়ারের অভিরূপের 'হাই-হ্যালো'র বাইরে এর আগে আর কোনো সম্পর্ক ছিল না। | null | শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/158546/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE | কাশ্মীর ফাইলসের জোয়ারে বচ্চন পান্ডেতে ভাটা | মুক্তির পর থেকেই সিনেপাড়া থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-সবখানেই সরগরম 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের ওপর নির্যাতনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। গত ১১ মার্চ ভারতের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ১৯৯০ সালের ওই ঘটনাপ্রবাহকে একটি গল্পের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছে।বেশ আলোচিত-সমালোচিত 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক পক্ষ বলছে, 'উপত্যকার রক্তাক্ত ইতিহাসকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে এত দিন, সেই ঘটনাবলির ওপর আলো ফেলেছে এ সিনেমা।' আর অন্য পক্ষ বলছে, 'এই সিনেমা বস্তুনিষ্ঠতাকে এড়িয়ে বরং ইসলামভীতি উসকে দিচ্ছে।' এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা কুড়িয়েছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' দারুণ ব্যবসা করছে বক্স অফিসে। মুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে এই ছবি। এরই মধ্যে ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'। এমনকি 'বাহুবলী ২'-এর বক্স অফিস কালেকশনকে টক্কর দিতে যাচ্ছে বলেও আলোচনা উঠেছে। ছবিটি নির্মাণ করেছেন বিবেক আগ্নিহোত্রী। এতে অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী যোশী ও অতুল শ্রীবাস্তবের মতো অভিনয়শিল্পীরা।এদিকে কাশ্মীর ফাইলসের জোয়ারের মধ্যে বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের 'বচ্চন পান্ডে'র বক্স অফিস কালেকশনে অনেকটা ভাটা পড়ছে বলা যায়। গতকাল শুক্রবার মুক্তির দিনে 'বচ্চন পান্ডে' ছবিটি আয় করেছে ১৩ কোটি রুপি। ধারণা করা হচ্ছে, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমার কারণেই আশানুরূপ ফল আসেনি প্রথম দিন। 'বচ্চন পান্ডে' সিনেমায় অক্ষয় কুমার ছাড়াও রয়েছেন কৃতি শ্যানন, আরশাদ ওয়ার্সি ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। | বিনোদন,সিনেমা,বলিউড,অক্ষয় কুমার,বক্স অফিস | 'দ্য কাশ্মীর স' তে নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের ওপর নির্যাতনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। টুইটার থেকে নেওয়া | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/46931/%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF | নমুনা পরীক্ষা হয়নি তাই আক্রান্তও শূন্য | টাঙ্গাইল জেলায় কারও শরীরে নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এর কারণ হলো নতুন করে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা। গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। তবে এর মাঝে সুখবর হলো এই সময়ে চিকিৎসাধীন কেউ মারা যাননি।সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জেলার ১২টি উপজেলায় কোনো নমুনা পরীক্ষা না করায় এটাই প্রথম আক্রান্তহীন দিন অতিবাহিত হলো। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৫৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৪ হাজার ৪১৮ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ২৫৯ জন।এদিকে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১১ জন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড সেন্টারে ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর মধ্যে নাগরপুরে ২, সখীপুরে ১ এবং ঘাটাইলে ১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ১ জন। এই সময়ে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছে ৮০ জন। একই সময়ে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৮ জন। সেখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ৫ জন। জেলায় বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২ হাজার ৭০ জন। | করোনাভাইরাস,টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ | নমুনা পরীক্ষা হয়নি তাই আক্রান্তও শূন্য | national |
https://samakal.com/sports/article/211290815/বর্ষসেরা-ওয়ানডে-ক্রিকেটারের-মনোনয়ন-পেলেন-সাকিব | বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের মনোনয়ন পেলেন সাকিব | শেষ হয়ে যাচ্ছে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের আরও একটি বছর। বছরের শেষ প্রান্তে আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের নাম জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন পাকিস্তানের বাবর আজম, দক্ষিণ আফ্রিকার জানেমান মালান ও আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। আগামী ১৭-১৮ জানুয়ারিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পারফরম্যান্সের বিচারে আইসিসির অ্যাওয়ার্ডস প্যানেল এই তালিকা তৈরি করেছে। এর আগে বছরের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইংল্যান্ডের জো রুট, শ্রীলঙ্কার দিমুথ করুনারাত্নে ও নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসন।টি-টোয়েন্টিতে বর্ষসেরার পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ, শ্রীলঙ্কার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। | সাকিব আল হাসান,আইসিসি,বর্ষসেরা ক্রিকেটার | সাকিব আল হাসান। | sports |
https://samakal.com/economics/article/211080511/হাভালের-মাসব্যাপী-সার্ভিস-ক্যাম্পেইন-শুরু | হাভালের মাসব্যাপী সার্ভিস ক্যাম্পেইন শুরু | মােটরগাড়ি ব্র্যান্ড হাভালের ৩য় দেশব্যাপী সার্ভিস ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছেঢাকায়। হাভাল এসইউভির একমাত্র পরিবেশক এইস অটোসের হাত ধরে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। তেজগাঁওয়ে এইস এর শােরুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিইও আজহারুল ইসলাম, হাভাল ব্যবহারকারী এক্সপাে ফ্রেইটের সিইও জ্যান ভ্যান ডার পাের্টেন, হা-মীম গ্রুপের জিএম এলাহী মন্জুরুল হক, এভারকেয়ার হাসপাতালের ডিজিএম গাজী মামুনুর রশীদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) নাসিম আখতার। হাভালের দেশজুড়ে মাসব্যাপী সেবা ক্যাম্পেইন গত ৯ অক্টোবর শুরু হয়েছে , চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। ঢাকার পাশাপাশি খুলনা, সিলেট ও চট্টগ্রামে সেবা কর্মসূচি চলবে। হাভাল গাড়ির মালিকরা তাদের গাড়ি এই ক্যাম্পেইনে বিনামূল্যে সার্ভিসিং করাতে পারবেন। গ্রাহকরা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তাদের গাড়ির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি | হাভাল,সার্ভিস ক্যাম্পেইন | হাভালের মাসব্যাপী সার্ভিস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা | economy |
https://www.ajkerpatrika.com/40105/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE | পাকিস্তানে তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের রাস্তা | প্রথমবারের মতো প্লাস্টিক-কার্পেটিং করা হচ্ছে পাকিস্তানে। দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে 'ওয়ার্ল্ড উইদাউট প্লাস্টিক' প্রোগ্রামের একটি মেগা প্রকল্পের আওতায় এই রাস্তা হচ্ছে। দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।বর্জ্যমুক্ত বিশ্ব তৈরির উদ্দেশে ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (সিডিএ) এবং টিমআপ/ন্যাশনাল ইনকিউবেশন সেন্টারের (এনআইসি) সঙ্গে কোকা-কোলা পাকিস্তান ও আফগানিস্তান একত্রিত হয়ে কাজ করছে।গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির জাতীয় সড়কগুলোকে প্লাস্টিক-কার্পেটিংয়ের এ প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী মিশ্রিত ৮ টন প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে। মূলত, ব্যবহৃত পিইটি বোতল (পলিইথিলিন টেরেফথালেট) ব্যবহার করা হবে প্রকল্পটিতে।প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মতে, পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি স্থায়িত্ব ও খরচের যথাযথ কার্যকারিতার ক্ষেত্রে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে এ সড়ক।গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুনর্ব্যবহৃত পিইটি বর্জ্যকে একটি চলমান প্লাস্টিক অর্থনীতির অংশ হতে সাহায্য করার পাশাপাশি পরিবেশে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এটি। প্লাস্টিক-কার্পেটিং করা সড়কগুলো সাধারণ সড়কের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দীর্ঘস্থায়ী এবং ৫১ শতাংশ শক্তিশালী।কোকা-কোলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেনারেল ম্যানেজার ফাহাদ আশরাফ বলেন, নতুন এ প্রকল্প উৎপাদনশীল অর্থনীতিতে প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যবহার করার একটি যুগান্তকারী সমাধান হিসেবে কাজ করবে। এই ধারণা ও উদ্ভাবনকে ঘিরে একটি কমিউনিটি গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করতে চাই আমরা। | পাকিস্তান,রাস্তা | পাকিস্তানের তৈরি হচ্ছে প্লাস্টিকের সড়ক। | nature |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/11/10/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%88%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%86%e0%a6%b6%e0%a6%be-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/ | নাঈমের বিদায়েই আশা হারায় টাইগাররা | ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে টাইগারদের আস্থা ফিরেছিল নাঈমের ফিফটিতে। তবে সে আস্থা গুড়িয়ে যায় নাঈমের বিদায়ে। বলা যায়, পথ হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। তবে বাঁহাতি এই ওপেনার নাঈমের দুর্দান্ত ইনিংস অনেকখানি আশার আলো ছড়িয়েছিল টাইগার শিবিরে। তবে শিবম দুবে তার শেষ ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হওয়ার পর অনেকটা আঁধার ঘনিয়ে আসে নাগপুরের স্টেডিয়ামে। নাঈম ৪৮ বলে ১০টি চার ও এক ছয় মিলে ৮১ রান করেন। তবে তার বড় স্কোর ফেরাতে পারলো টাইগারদের। তার আউট হওয়ার পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে জয়ের আশা। পরের বলে দুবে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে আফিফকে ফিরিয়ে দেন। নাঈম-আফিফের পর ভরসা হয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে পরের ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালের কাছে অধিনায়কের বোল্ড হওয়াটা সত্যিই বেদনার ছিল। অন্ধকার নেমে আসে আস্থার আলোয়। শুরুতে কিছুটা আশা হারালেও মাঝখানে বেশ আলো ছড়িয়েছিলেন টাইগাররা। তবে শেষ অবধি জয়ের বন্দরে পৌঁছা হলো না। সিরিজ নির্ধারণী মাচে ভারত ১৭৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল বাংলাদেশকে। অনায়াসে চ্যালেঞ্জটা নিতে পারতো টাইগাররা। সেরকম ইতিহাস আছেও পেছনে। দিল্লির দূষণকে তো তোয়াক্কাই করেনি টাইগাররা। রাজকোটে হানা দেয়া ঘূর্ণিঝড় মহা তো পাশা কাটিয়েই চলে গেছে। তৃতীয় ম্যাচের আগে যে বুলবুল চোখ রাঙাচ্ছিল তার কোনো প্রভাব তো পড়েনি নাগপুরে। যতদূর বোঝা যায় সুন্দরবনই ঠেকিয়ে দিয়েছে বুলবুলকে। তারপরেও টাইগারদের আত্মবিশ্বাস কে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ায় সহায়ক হলো না সেটাই বড় প্রশ্ন। | null | ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/12/13/%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a7%ac-%e0%a7%a6-%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%ac%e0%a6%be/ | ভুটানকে ৬-০ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা | সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ভূটানকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। পুরো ম্যাচে আধিপত্য ধরে রাখা বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেল না ভুটান। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ভূটানের বিপক্ষে বিশাল জয়ে জোড়া গোলের দেখা পান শাহেদা আক্তার রিপা ও তহুরা খাতুন। একটি করে গোল আসে ঋতুপর্ণা চাকমা ও মারিয়া মান্ডার পা থেকে। ম্যাচের শুরুতেই তহুরার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের করা ভুল থেকে সুযোগ পেয়ে বক্সের ভেতর থেকে সহজেই গোল পান তিনি। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন রিপা। মারিয়া মান্ডার পাস থেকে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রিপার ক্রস থেকে দুর্দান্ত এক হেডে প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন তহুরা। বিরতির পর খেলতে নেমেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। রিপার দুর্দান্ত শট রক্ষা করতে পারেননি ভুটানের গোলরক্ষক। ৬৮তম মিনিটে দলের স্কোরলাইন ৫-০ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাঁ পায়ের শটে সহজেই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেন তিনি। যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের জটলায় বল পেয়ে ভুটানের জালে বল ভেড়ান মান্ডা। ৬-০ ব্যবধানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। | null | গোলের পর বাংলাদেশের মেয়েদের উল্লাস। | sports |
https://www.prothomalo.com/politics/আমরা-বিভক্তি-ও-বিভাজনের-চিন্তা-করব-না-ফখরুল | আমরা বিভক্তি ও বিভাজনের চিন্তা করব না: ফখরুল | বিএনপির মধ্যে বিভক্তি ও বিভাজনের চিন্তা না করতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, 'আমরা বিভক্তি ও বিভাজনের চিন্তা করব না। আমরা "শহীদ" জিয়ার রাজনীতিকে অনুসরণের মাধ্যমে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।'আজ বুধবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম 'শাহাদতবার্ষিকী' উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, 'আজ জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমাদের শপথ নিতে হবে যে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব। অনেকেই হতাশার কথা বলেন। আমি কখনো হতাশার কথা বলি না, বলতে চাই না এবং বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি শহীদ জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ, দর্শন ও চিন্তা, তা কখনো ব্যর্থ হওয়ার নয়।' তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার যে আদর্শ ও ত্যাগ স্বীকার, তা ব্যর্থ হওয়ার নয়। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভালোবাসে। আর তারা অবশ্যই উঠে দাঁড়াবে, বিএনপি উঠে দাঁড়াবে। বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এ দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে। ফখরুল ইসলাম বলেন, 'সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আজ চারদিক তাকিয়ে দেখুন, সরকার বলতে কোনো জিনিস আছে বলে মনে হয় না। মনে হয় না যে, কোনো শাসন ব্যবস্থা আছে। দুঃশাসন, অপরাধ ও দুর্নীতিতে বাংলাদেশ ভরে গেছে। আজ চারদিকে দুঃশাসন চলছে। এই দুঃশাসন সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে।' খালেদা জিয়ার কারাবাসের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে। যারা গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করে না, তারা খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রেখেছে। আর এটা করেছে একটি কারণে, তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'বিএনপিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ খালেদা জিয়া কারাগারে। তাই আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা যদি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলি, তাহলে সংগঠন শক্তিশালী হবে। গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলকে পরিচালনা করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।' মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, আহমদ আযম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,বিএনপি,রাজনীতি,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ,খালেদা জিয়া | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি | politics |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/12/29/725676 | সৈকতে নারী পর্যটকদের বিশেষ জোন প্রত্যাহার | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ১৫০ ফুটের যে বিশেষ জোন করা হয়েছিল সেটি প্রত্যাহার করেছেন জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ। বুধবার রাত ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান তিনি। এর আগে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বিজিবির উর্মি গেস্ট হাউজ থেকে সীগাল পয়েন্ট পর্যন্ত ১৫০ ফুট এলাকা নিয়ে করা হয় বিশেষ এই জোন। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ১৫০ ফুটের বিশেষ জোন প্রত্যাহার করা হয়েছে। | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/নারীর-হার-বাড়ছে-না-সরকারি-চাকরিতে | নারীর হার বাড়ছে না সরকারি চাকরিতে | পাঁচ বছর ধরে নারী চাকরিজীবীর হার প্রায় একই জায়গায় আটকে আছে। নীতিনির্ধারণী পদে নারী খুবই কম। শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ছাত্রীর হার বাড়ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এক দশকের বেশি সময় ধরে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর হার বেশি। কলেজ পর্যায়ে ছাত্র ও ছাত্রীর হার প্রায় সমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর হার ৩৬ শতাংশের বেশি। তবে সে তুলনায় সরকারি চাকরিতে নারীর হার পাঁচ বছর ধরে বাড়ছে না, থেমে আছে প্রায় একই জায়গায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের করা সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত 'স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস' শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে সরকারি নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর হার ২৭ থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। এ ছাড়া বিসিএসের মাধ্যমেও চাকরিতে নারীর হার খুব একটা বাড়ছে না। আবার শীর্ষস্থানীয় ও নীতিনির্ধারণী পদে নারীর অংশগ্রহণ এখনো অনেক কম। সরকারের ৭৭ জন সচিবের মধ্যে নারী মাত্র ১১ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে সরকারি চাকরিতে নারীরা পিছিয়ে আছেন। সরকারি চাকরি বদলিযোগ্য হওয়ায় এখনো অনেকের এ ব্যাপারে আগ্রহ কম। এ ছাড়া আরও কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণে নারীবান্ধব কিছু পদক্ষেপের সুপারিশ করেছেন তাঁরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত জুনে 'স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস, ২০২০' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে নারীর হার ছিল ২৭ শতাংশ, পরের বছর ২৯ শতাংশ। আর দুই বছর ধরে এই হার ২৮ শতাংশের ঘরেই থেমে আছে। অবশ্য মোট চাকরিজীবীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। বর্তমানে দেশে মোট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ১৫ লাখের কিছু বেশি। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন দেশে সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। ক্যাডার সার্ভিসেও নারীরা এখন ভালো করছেন। তবে চাকরিতে নারীর হার আরও বাড়তে হয়তো সময় লাগতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি চাকরির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, নীতিনির্ধারণী পদসহ প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীরা এখনো বেশ পিছিয়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে মোট সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ২২৯ জন। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নারী। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে নারীর হার তুলনামূলক কিছু বেশি; যথাক্রমে ২৮ ও ৩২ শতাংশ। এ ছাড়া চতুর্থ শ্রেণিতে নারীর হার প্রায় ১৮ শতাংশ। একসময় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হতো অগ্রাধিকার কোটায় (বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী, নৃগোষ্ঠী ও জেলা কোটা)। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হতো মেধা কোটায়। কিন্তু ২০১৮ সালে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকার। নারীদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে এর একটি প্রভাব পরবর্তী বিসিএসগুলোতে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কোটা অবশ্য আগের মতোই বহাল আছে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিসিএসেও নারীর হার খুব একটা বাড়ছে না। ২০২০ সালে ৩৮তম বিএসএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি। এর মধ্যে নারী ছিলেন ৩৬ শতাংশের বেশি। এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডার পদে ২ হাজার ২০৪ জনের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি। এর মধ্যে নারী প্রায় ২৭ শতাংশ। অর্থাৎ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদনের হারের চেয়ে নারীদের চাকরি পাওয়ার হার কম। এর আগে ২০১৭ সালে প্রকাশিত ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরির জন্য সুপারিশ পাওয়া মোট চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নারী ছিলেন ২৬ শতাংশের সামান্য বেশি। ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) কেবল চিকিৎসক নেওয়া হয়। এই বিসিএসে অবশ্য নারীদের হার পুরুষদের প্রায় সমান (নারী প্রায় ৪৭ শতাংশ)। দেশে মেডিকেল শিক্ষায়ও ছাত্রীর হার ছাত্রের চেয়ে বেশি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, ভর্তির জন্য নির্বাচিত ৪ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ২ হাজার ৩৪১ জন (৫৪ ভাগ)। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও পদস্বল্পতার জন্য যাঁরা ক্যাডার পদে চাকরি পান না, তাঁদের মধ্যে থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির (নবম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেড) পদে চাকরি দেওয়া হয়। ৩৪তম বিসিএস থেকে ৩৮তম বিসিএসের তথ্য বলছে, নন-ক্যাডার পদে ৩৪তম বিসিএস থেকে নারীদের চাকরি পাওয়ার হার ২৫ শতাংশের বেশি। ৩৫তম বিসিএস থেকে প্রায় ২১ শতাংশ, ৩৬তম বিসিএস থেকে ১৯ শতাংশের বেশি, ৩৭তম বিসিএস থেকে ১৩ শতাংশ এবং ৩৮তম বিসিএস থেকে নন-ক্যাডার পদে নারী নিয়োগের হার ২০ শতাংশ। সরকারি চাকরির বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সরকারি চাকরিতে শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মধ্যে নারীর হার তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে অবশ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলকভাবেই ৬০ শতাংশ নারী নিয়োগ দিতে হয়। সরকারি চাকরিতে নারীদের পিছিয়ে থাকার কারণ সম্পর্কে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি চাকরি বদলিযোগ্য হওয়ায় নারীদের বিষয়ে পরিবার থেকে একধরনের প্রতিবন্ধকতা কাজ করে। দ্বিতীয়ত, এখনো সমাজের একটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও আছে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের মাধ্যমে। গণমাধ্যমে এসেছে, এই কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর 'গার্ড অব অনার' দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় মানসম্মত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন, নারীদের তুলনামূলকভাবে পরিবারের কাছাকাছি পদায়ন, আবাসনের ব্যবস্থা করা, নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টার। | বিশেষ সংবাদ,নারী,সরকারি কর্মচারী,বিসিএস,সরকারি চাকরি | নারীর হার বাড়ছে না সরকারি চাকরিতে | education-career |
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/12/27/724972 | সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী আর নেই | ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল হাজারী আর নেই। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনীর সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | জয়নাল হাজারী | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/30/%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%87%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8/ | ইউএনডিপিতে কান্ট্রি ইকোনমিস্ট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন নাজনীন আহমেদ | জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট হিসাবে যোগ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে তিনি ইউএনডিপি ঢাকা কার্যালয়ে নতুন যাত্রা শুরু করবেন। বুধবার (৩০ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্টে তিনি এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। নাজনীন আহমেদ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইউএনডিপিতে এক বছর দায়িত্ব পালন করবেন। এই সময় তিনি সরকার থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। ইউএনডিপিতে এই প্রথম কান্ট্রি ইকোনমিস্ট পদ সৃষ্টি করা হলো। বাংলাদেশে এখন বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকে (এডিবি) এই পদ আছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে যেসব কার্যক্রম নেওয়া হবে, সেখানে পরামর্শ দেবেন নাজনীন। ইউএনডিপি বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমে নীতি ও কৌশলগত পরামর্শ দেবেন তিনি। বিআইডিএসের গবেষক হিসেবে সামষ্টিক অর্থনীতি, শ্রমবাজার, শিল্প খাত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক সহযোগিতা, জেন্ডার-এসব বিষয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন ড. নাজনীন। তিনি সরকারের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। | null | অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/diplomacy/671759/সরকার-বন্যা-কবলিত-মানুষের-জন্য-সব-ধরনের-সহায়তা-প্রদান-করছে-প্রধানমন্ত্রী | সরকার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে : প্রধানমন্ত্রী | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, তার সরকার বন্যা-কবলিত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান বন্যা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে এলে তিনি বলেন, 'বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার সবকিছুর ব্যবস্থা করছে।' বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এবার বন্যার প্রকোপ একটু বেশি এবং তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে।'তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে, আমাদের এই প্রকৃতির সাথেই বাঁচতে হবে। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস এবং জাপান চায় বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন। শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্যে তার সরকার ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।সূত্র : বাসস | null | সরকার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে প্রধানমন্ত্রী | politics |
https://samakal.com/international/article/2203103727/ইমরান-খানের-ভাগ্যে-কী-আছে-জানা-যাবে-এপ্রিলে | ইমরান খানের ভাগ্যে কী আছে জানা যাবে এপ্রিলে | শুক্রবারের পর আবার পাকিস্তানে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হবে আজ। মাঝে দুদিন মুলতবি ছিল অধিবেশন। যদি সোমবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় তবে এ বিষয়ে ৪ এপ্রিল ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। রোববার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। খবর ডনের। শেখ রাশিদ বলেন, যদি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেওয়া বিরোধীদের প্রস্তাব সোমবার জাতীয় সংসদের স্পিকার আসাদ কায়সার উপস্থাপনের অনুমতি দেন তবে ৪ এপ্রিল অনাস্থা ভোট আয়োজিত হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রস্তাব উপস্থাপনের তিনদিন পূর্ণ হওয়ার পর থেকে সাত দিনের মধ্যে ভোট আয়োজন করতে হয়। মন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণ হয়, সরকার সর্বোচ্চ সময়ই নিতে যাচ্ছে। যদি স্পিকার প্রস্তাব উপস্থাপনে দেরি করেন তবে বিরোধীরা সংসদে ও বাইরে শক্ত অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে। এর আগে শুক্রবার পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার জন্য উপস্থাপনের আগেই অধিবেশন ২৮ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল। ৮ মার্চ দেশটির বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। দেশটিতে ২০২৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। | পাকিস্তান,জাতীয় সংসদ,মুলতবি,ফের অধিবেশন,ইমরান খান,আসাদ কায়সার,অনাস্থা ভোট | পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান | international |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/642711/হিজাব-ইস্যুতে-কর্ণাটকের-আন্দোলনে-ঢাবি-শিক্ষার্থীদের-সংহতি | হিজাব ইস্যুতে কর্ণাটকের আন্দোলনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংহতি | হিজাব পরে আসায় ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি স্কুলে ছয় শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ঢুকতে না দেয়ার প্রতিবাদে রাজ্যটিতে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এই উপলক্ষে একটি সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল শাখার আয়োজনে মূলত এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সমাবেশে সনাতনধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয়। এসময় তারা 'সলিডারিটি ফ্রম বিডি', 'হিজাব ইজ মাই চয়েস', 'পোশাকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করো' ইত্যাদি লিখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সমাবেশে জয়দেব চন্দ্র রায় নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেটি রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হচ্ছে। সনাতনধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জাবোধ করছি। আমি মনে করি, বোরখা ভালো জিনিস। আমার মা বা বোন যদি এটি পরতে চায় তাহলে তারা পরতে পারে। যারা এটি করছে তাদের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ আহসান বলেন, 'পোশাকের স্বাধীনতা থাকা উচিত। শুধু ভারত নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও নারী শিক্ষার্থীরা পোশাকের কারণে বিভিন্ন কটু কথার শিকার হয়। আমরা বলতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও যার যার পছন্দের উপর ভিত্তি করে পোশাক পরার স্বাধীনতা থাকতে হবে। ভবিষ্যতে যদি কোনো শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে বাধা দেয়া হয় বা কটু কথা শুনানো হয় আমরা সেগুলোর ডকুমেন্টশন করবো। আমরা চাই না কেউই হিজাব বা অন্য কোনো পোশাক পরার কারণে সমস্যায় পড়ুক।' রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, 'বোরখাকে মুসলিম আইডেন্টিটি হিসেবে বিবেচনা করে এটি নিষিদ্ধ করা ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেয়ার একটা চাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হিজাব বা বোরখা পরার কারণে যেমন কটুক্তি শুনতে হয় তেমনি টিশার্ট পরার কারণেও কটু কথা শুনতে হয়। আর ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে যারা আসে তারাও নানা রকম বুলিংয়ের শিকার হয়। আমরা বলতে চাই, মেয়েরা কোন পোশাক পরবে বা পরবে না সেটি তাদের নিজস্ব পছন্দের বিষয়। এখানে কারো হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নিব না।' আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশরেফা তাসনিম বলেন, 'আমরা বাঙালি। বাঙালি জাতীয়তাবাদ মেনে যেমন আমরা পোশাক পরতে পারি, তেমন ধর্মীয় নির্দেশনা মেনে হিজাব বা বোরখা পরতে পারি। এই হিজাব বা বোরখাকে যখন আমরা আফগানি বা তালিবানি পোশাক বা সংস্কৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করবো সেটিই হচ্ছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা। আমরা অসাম্প্রদায়িকতার নামে এই যে বিদ্ধেষ ছড়িয়ে দিচ্ছি এটাই সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িকতা। যখন আমি বা আমার বান্ধবী স্বাধীনভাবে শাখা-সিঁদুর বা হিজাব বোরখা পরতে পারবে সেটাই অসাম্প্রদায়িকতা ' সমাপনী বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন বলেন, ভারতের যে ঘটনা নিয়ে আজকে আমরা সংহতি জানাতে দাঁড়িয়েছি এই ঘটনা বাংলাদেশেও ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব, বোরখা বা টিশার্ট পরে আসার কারণেও শিক্ষকদের হাতে নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার শিকার হতে হয়। কোনো শিক্ষার্থীর পোশাকের স্বাধীনতাকে খর্ব করা চলবে না। পোশাকের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার কারণে ভারতের শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ জারি রেখেছে তার প্রতি আমরা সংহতি জানাই। পোশাকের স্বাধীনতা যেখানেই কেড়ে নেয়া হবে সেখানেই আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ উদ্দীন সিফাত সমাবেশের সঞ্চলনা করেন। সমাবেশে শেষে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা পর্যন্ত মিছিল করেন। | হিজাব,কর্নাটক,আন্দোলন | সংহতি সমাবেশে শিক্ষার্থীরা | politics |
https://www.prothomalo.com/entertainment/tv/প্রিয়াঙ্কার-পা-ভেঙে-গেছে | প্রিয়াঙ্কার পা ভেঙে গেছে | মোটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন ভারতের টালিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। গতকাল রাতে শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, তাঁর ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। আজ বিকেলে তাঁর পায়ে একটি অস্ত্রোপচারের কথা রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় নিউটাউন ইকোপার্কে চলছিল 'মহাভারত মার্ডারস' নামে একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং। তাতে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা ও অর্জুন চক্রবর্তী। শুটিং চলাকালে একটি বেপরোয়া বাইক আকস্মিকভাবে সেটের সীমানার ভেতর ঢুকে প্রিয়াঙ্কা ও অর্জুনকে ধাক্কা দেয়। এতে দুজনই ছিটকে পড়েন রাস্তার পাশে। দুজনকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অর্জুনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার পায়ের এক্স-রে করে দেখা যায় তাঁর ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র জানাচ্ছে, অস্ত্রোপচার করে ভাঙা হাড় ঠিকভাবে সেট করে সেখানে প্লেট বসানো হবে। প্রিয়াঙ্কার সাবেক স্বামী রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় সকালে খবর পেয়েই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মোটরসাইকেলচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। প্রিয়াঙ্কা ও অর্জুনকে ধাক্কা দিয়ে তিনি দ্রুত পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। কলকাতায় 'চিরদিনই তুমি যে আমার', 'চ্যাম্প', 'বিবাহ অভিযান'সহ বেশ কিছু বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। এ ছাড়া তিনি কাজ করেছেন বাংলা ধারাবাহিকেও। বাংলাদেশে রফিক শিকদারের 'হৃদয়জুড়ে' ছবিতেও কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। | বাংলা নাটক,বাংলা সিনেমা,শুটিং | দূর্ঘটনায় পা ভেঙেছে প্রিয়াঙ্কা সরকারের | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/56564/%E0%A6%87%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%97%E0%A6%A0%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0 | ইভ্যালি পরিচালনায় বোর্ড গঠন নিয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বুধবার | ইভ্যালির দায়-দেনা নির্ধারণের জন্য বোর্ড গঠনের বিষয়ে আগামীকাল বুধবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় নথি দাখিলের পর আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ আদেশের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন। আর এই বোর্ড গঠনের জন্য আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নাম জানতে চেয়েছেন। একজন সাবেক বিচারপতি, আইনজ্ঞ, সাবেক বা বর্তমান সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসহ চারজনের সমন্বয়ে ওই বোর্ড গঠন করে দেবেন হাইকোর্ট।গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে এসব নথি দাখিল করা হয়। একজন ক্রেতা ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করার পাঁচ মাস পরও তা বুঝে না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে বারবার অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি-হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।আদালতে প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। শুনানিতে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের এখানে দায় রয়েছে। তাঁরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেনি। এখনো এসব নিয়ন্ত্রণে কোনো আইন নেই।এ সময় হাইকোর্ট বলেন, সাধারণ গ্রাহকদেরও লোভনীয় অফারের ক্ষেত্রে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত ছিল। | করপোরেট,ই-কমার্স,ইভ্যালি,হাইকোর্ট | বাংলাদেশ হাইকোর্ট। | economy |
https://www.ajkerpatrika.com/186271/%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87 | ১০ মাসের ঈশানকে বড় করবে কে | চৌদ্দগ্রামে জমির বিরোধের জেরে ইসরাফিলকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত রোববার রাতে মা রিনা বেগম বাদী হয়ে ছয়জনের নামে হত্যা মামলা করেন। এদিকে শোকে পাথর অবস্থা ইসরাফিলের স্ত্রী রিয়া আক্তারের। ১০ মাস বয়সী ছেলে ঈশানকে বারবার জড়িয়ে ধরে আহাজারি করছেন তিনি। বলছেন, 'ঈশানকে বড় করবে কে?'মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল-দুর্গাপুর গ্রামের মোক্তল হোসেন, তাঁর ছেলে সজীব, স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে নাসরিন আক্তার, আইরিন আক্তার ও তানজিনা আক্তার। পুলিশ রাতেই সজীব ছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল সোমবার রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে তাঁরা জেলহাজতে রয়েছেন।শিশুকে ঘিরে শোক: ইসরাফিলের ছেলে ঈশানের বয়স ১০ মাস। এক দিন আগেও যে বাড়ি নিরিবিলি ছিল, সেই বাড়িভর্তি মানুষ। বেশির ভাগই শিশুটির অপরিচিত। এঁরাই এক এক করে ঈশানকে কোলে নিচ্ছেন, আর আফসোস করছেন। কিন্তু এসব বোঝার বয়স হয়নি তার। কৌতূহলী চোখে সবার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝেমধ্যে কেঁদে উঠছে।বাড়ির আঙিনায় খড়ের মধ্যে এখনো জমাট বাঁধা রক্ত। ঘরের ভেতরে আহাজারি করছেন ইসরাফিলের স্ত্রী রিয়া আক্তার। তিনি বলছেন, 'এখন আমাদের সংসার চলছে কীভাবে। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ কী। কে নেবে এই হত্যার দায়। আমি কী আমার স্বামী হত্যার বিচার পাব।' কেউ সরাসরি রিয়ার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না। কেউ তাঁর কথাগুলোই নিজের ভঙ্গিতে বলছেন।ইসরাফিলের চাচি শিরিনা আক্তার জানান, ইসরাফিল টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন। ছোট ভাই সালমান পড়ালেখা করে। ইসরাফিলের আয় দিয়েই সংসার চলে। মাত্র ঈদ গেল। দুপুরে খাওয়ার জন্য সন্তানকে নিয়ে তৈরি হচ্ছিলেন। এরই মধ্যে শোরগোল শুনে ঘর থেকে বের হলেন। দেখলেন যাঁদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ, তাঁরা বিরোধকৃত জমিতে খড়ের গাদা তৈরি করছেন। বাধা দিতেই হায়েনার মতো ইসরাফিলের ওপর হামলা হয়। একের পর এক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলেন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হলো।ছোট ভাই সালমান আহাজারি করে বলেন, 'ভাইকে ঘাতকেরা বাঁচতে দিল না। ছোট্ট ঈশানের মুখে স্পষ্টভাবে বাবা ডাক শোনার আগেই তাঁকে হত্যা করা হলো। আমরা কী আমাদের ভাই হত্যার বিচার পাব। ছোট্ট ঈশানের ভবিষ্যৎ কী হবে। কীভাবে চলবে আমাদের পরিবার।'গ্রামে ক্ষোভ: ময়নাতদন্ত শেষে ইসরাফিলের লাশ দাফন করা হয়েছে। জানাজায় উপস্থিত এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ করা গেছে। তাঁরা অবিলম্বে সজীবকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী হাফেজ বেলাল বলেন, 'আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ইসরাফিল অত্যন্ত শান্ত ছেলে ছিল। সজীব ও তার পরিবার জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার ইসরাফিলের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছিল। দ্রুত সজীবকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।'স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'প্রকাশ্যে সজীব ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ইসরাফিলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি এবং সজীবকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।'আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম মজুমদার বলেন, 'সামান্য জমির বিরোধ নিয়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে একাধিক সালিস হয়। সজীবের পরিবার বারবার সালিসের রায় অমান্য করে আসছে। মনে হচ্ছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার ইসরাফিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।' | কুমিল্লা,মামলা,চট্টগ্রাম বিভাগ,জমি,কুপিয়ে হত্যা,চৌদ্দগ্রাম,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,আজকের কুমিল্লা | প্রতিবেশী এক নারীর কোলে ঈশান | national |
https://samakal.com/whole-country/article/2205111245/অল্পের-জন্য-মুখোমুখি-সংঘর্ষ-থেকে-রক্ষা-পেল-দুটি-ট্রেন | অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল দু'টি ট্রেন | অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেলো যাত্রীবাহী দু'টি ট্রেন। যদিও এ ঘটনায় হতাহত হয়নি কেউ। শুক্রবার রাত একটার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়ালব্রিজ রেলস্টেশনেএ ঘটনা ঘটে। ট্রেন দু'টি হচ্ছে আন্ত:নগর ধূমকেতু ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস। পরে আধা ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি। তবে এ ঘটনা অস্বীকার করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনযাত্রী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত একটার দিকে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী আন্ত:নগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বড়ালব্রিজ ষ্টেশন সংলগ্ন রেলব্রিজ অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে একই লাইনে ছুটে আসছিল রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্ত:নগর ধুমকেতু ট্রেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুতযানের চালক ট্রেনটি রেলব্রিজের ওপর দ্রুত থামিয়ে দেন। এ সময় ধুমকেতু ট্রেনটি ছিল ওই রেলব্রিজের পশ্চিমপাশের মাত্র কয়েকশ' গজ দূরে। চালকদের সতর্কতায় মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায় ট্রেন দু'টি। এ ঘটনায় উভয় ট্রেনের যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে ধুমকেতু ট্রেনটি পাশের ভাঙ্গুড়া ষ্টেশনে ফিরে গিয়ে এক নম্বর লাইনে অবস্থান নিলে দ্রুতযান ট্রেনটি দুই নম্বর লাইন দিয়ে ছেড়ে যায়। এতে আধা ঘণ্টা বিলম্বে ধুমকেতু ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ধুমকেতু ট্রেনের যাত্রী রাকিবুল ইসলাম জানান, তিনি ধুমকেতু ট্রেনের অপেক্ষায় বড়ালব্রিজ ষ্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন। রাত একটার দিকে আন্ত:নগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ও ধুমকেতু ট্রেন দুটি একই লাইনে মুখোমুখি হয়। এ সময় দ্রুতযানের চালক বড়ালব্রিজের ওপর ট্রেন থামিয়ে দেয় এবং ধূমকেতু ট্রেনটি পিছনের দিকে গিয়ে ভাঙ্গুড়া স্টেশনে দাঁড়ায়। বড়ালব্রিজ স্টেশন মাস্টার মামুন হোসেন জানান, 'ভাঙ্গুড়া ষ্টেশন থেকে সিগন্যাল দেওয়া হয়। বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।' এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান বলেন, কম্পিউটার সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকে থাকে। ২০ মিনিট পর কম্পিউটার চালু করা গেলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে, দুটি ট্রেন মুখোমুখির এ ঘটনা অস্বীকার করে তিনি আরও বলেন, 'যদি এমন কিছু ঘটতো তাহলে কর্তৃপক্ষ কী আমাকে এখনও এখানে রাখতেন?' | মুখোমুখি সংঘর্ষ,পাবনা,চাটমোহর,যাত্রীবাহী ট্রেন,ট্রেন দুর্ঘটনা | বড়ালব্রিজ রেলস্টেশন। : | national |
https://samakal.com/entertainment/article/18041401/শোয়েবসানিয়ার-ঘরে-আসছে-সুখবর- | শোয়েব-সানিয়ার ঘরে আসছে সুখবর | পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক এবং ভারতের জনপ্রিয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার ঘরে নতুন অতিথি আসছে। দাম্পত্য জীবনের আট বছরের মাথায় শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জা তার ভক্তদের এই খবর জানালেন। বিয়ের পর থেকে দুই দেশের দু্ই তারকা সব সময় আলোচনায়। তাদের সন্তান নিয়েও শুরু হয়ে গেছে আলোচনা। ক্রিকেট এবং টেনিস তারকার বিয়ের আগে কম নাটক হয়নি। পাকিস্তানি ক্রিকেট অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান। এরপর সানিয়াকে বিয়ে করে চার হাত এক করেন। জি-নিউজের খবর অনুযায়ী এই দুই তারকার সন্তানের পদবি নিয়ে নাকি মনোমালিন্য দেখা দিয়েছিল। এছাড়া ছেলে হবে নাকি মেয়ে এটা নিয়েও নাকি ঝামেলা হয়েছে তাদের মধ্যে। তবে সেসব এখন মিটে গেছে। নতুন অতিথি আসার সময়টা এখন তারা উপভোগ করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি 'ডায়াগ্রাম' পোস্ট করেছেন। তাতে ইঙ্গিত দিয়েছেন নতুন অতিথি সম্পর্কে। ডায়াগ্রামে দেখা গেছে, বাম দিকে মির্জা আর ডানদিকে মালিক। তাদের মাঝে লেখা মির্জা-মালিক। এই পোস্ট দিয়েই ভক্তদের জানিয়েছেন, বাবা হতে চলেছেন শোয়েব মালিক। আর মির্জা হচ্ছেন মা। | খেলা,সানিয়া মির্জা | শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জা | entertainment |
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/561602/শোচনীয়-পরাজয়-ভারতের | শোচনীয় পরাজয় ভারতের | ইংল্যান্ডের কাছে প্রথম টেস্টে শোচনীয়ভাবে হেরে গেছে ভারত। চেন্নাইতে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে আজ ভারত তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯২ রানে অল আউট হয়ে যায়। ফলে ইংল্যান্ড ম্যাচটি জিতে নেয় ২২৭ রানে। আগের দিনেই ভারতের পরাজয়ের লক্ষণ ফুটে ওঠেছিল। ভারত আজ খেলা শুরু করেছিল তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে। জেমস অ্যান্ডারসন আর জ্যাক লিচের তাণ্ডবে বলতে গেলে দাঁড়াতেই পারেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা। তবে এর মধ্যেও প্রতিরোধ গড়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি ৭২ রান করেছিলেন। কিন্তু তিনি বিদায় নিতেই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এর আগে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই ইতিমধ্যেই পাঁচটি উইকেট উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে থাকে ভারত। গতকালই আউট হয়ে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। অপর ওপেনার শুভমান গিল ৫০ করে এদিন সকালে আউট হন। পূজারা ১৫, রাহানে ০, পন্থ ১১ ও সুন্দর ০ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। কোহলি পরাজয় কেবল বিলম্বিতই করেছেন। দুই দল মোট ৪টি টেস্ট খেলবে। এই সিরিজের ওপর নির্ভর করছে, কোন দল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাবে। নিউজিল্যান্ড ইতোমধ্যেই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। আজকের পরাজয়ের ফলে ভারতের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কমে গেল। আর ফাইনালের সম্ভাবনা বাড়ল ইংল্যান্ডের। | null | শোচনীয় পরাজয় ভারতের | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/19201/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8 | আফগান সাংবাদিকের রুদ্ধশ্বাস পলায়ন | ২৭ বছর বয়সী রহিম রহমান একজন আফগান সাংবাদিক। কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর থেকে একটি মার্কিন সামরিক বিমানে চড়ে দেশ ছাড়েন তিনি। তালেবানের রক্তচক্ষু এড়িয়ে, বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খলা পেরিয়ে তার আকাশে উড়ার রুদ্ধশ্বাস গল্পটি গতকাল প্রকাশিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়-তালেবানরা যেদিন কাবুল দখল করে নেয়, জার্মান প্রবাসী বন্ধুর ফোন পেয়ে সেই দিনটি শুরু হয় রহিমের। বন্ধুটি তাঁকে যত দ্রুত সম্ভব কাবুলের বিমানবন্দরে যাওয়ার তাড়া দিয়েছিল। কারণ সেদিনই একটি জার্মান বিমান নিজেদের কূটনীতিক ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু আফগানকে নিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। রহিমের নামটিও এই তালিকায় যুক্ত করতে পেরেছিলেন জার্মানিতে থাকা বন্ধুটি। কারণ রহিম বেশ কিছুদিন ধরেই একটি জার্মান গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর গত এক বছর ধরেই জার্মান ভিসার জন্য আবেদন করে আসছিলেন তিনি।তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করার পর পালানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না রহিমের। কারণ তিনি ছিলেন প্রগতিশীল সাংবাদিক। বাহুতে ট্যাটু আঁকা। তালেবানের চোখে তিনি একজন অবিশ্বাসী ছাড়া আর কিছু নন। এ অবস্থায় শুধু নিজের ল্যাপটপ আর ফোনটি নিয়ে বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়েন রহিম। কিন্তু বাড়ির বাইরে পা রাখা মাত্রই একরাশ আতঙ্ক তাঁকে ঘিরে ধরে। এমন আতঙ্ক এর আগে কোনো দিনই অনুভব করেননি তিনি।সারা শহর যেন বদলে গিয়েছিল সেদিন। যে কোনো মুহূর্তে তালেবানের কাছে ধরা পড়ে যাবেন, সারাক্ষণ এমন ভয় কাজ করছিল রহিমের। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের গেটে পৌঁছাতে সক্ষম হন তিনি। সেখানেও ছিল আরেক ভয়। কারণ তার কাছে কোনো ভিসা ছিল না। এ অবস্থায় গেট থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে এমন আশঙ্কাও ছিল। রহিম ভাবছিলেন, তার বাড়ি ফেরার আর কোনো উপায়ই নেই।শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন রহিম। ভেতরে প্রবেশ করেই যা দেখেন তাতে পুরোপুরি আশা হারিয়ে ফেলেন তিনি। কারণ সেখানে ছিল হাজার হাজার মানুষ। নারী-পুরুষের চিৎকার, শিশুদের কান্না-কাটি ছাড়া আর কোনো শব্দই কানে আসছিল না। তালেবানরা যে কোনো মুহূর্তে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করবে-এই আতঙ্ক সবার মাঝেই। আফগানদের পাশাপাশি অনেক বিদেশিকেও হতবিহ্বল হয়ে ছোটাছুটি করতে দেখেন রহিম। হাতে টিকিট নিয়েও শেষ পর্যন্ত বিমানে উঠতে না পারার ভয়ে ছিলেন অনেকেই। আতঙ্কে উদভ্রান্ত হয়ে যাওয়া কিছু মানুষ বিমানবন্দরে দরজা জানালা এবং টিকিট কাউন্টারগুলো ভাঙচুর করছিলেন। আর বিশৃঙ্খলার এটা ছিল শুরু মাত্র।চারপাশের অবস্থা দেখে প্রচণ্ড ভয়ে বুক ধড়ফড় শুরু হয় রহিমেরও। তিনি বিমানবন্দরের একটি কোনায় গিয়ে জড়সড় হয়ে লুকিয়ে থাকেন। সেখান থেকেই ছোট্ট একটি জানালা দিয়ে তিনি দেখতে পান-একটি তুর্কি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু বিমানটির চারপাশ ঘিরে ধরেছে অসংখ্য মানুষ। তারা সবাই বিমানের ভেতরে ঢুকতে চাইছিলেন। এমনকি অনেককে বিমানটির সিঁড়িতেও ঝুলে থাকতে দেখা যায়। বিমানটি এমনিতেই ছিল ওভারলোড। তার ওপর এর সিঁড়ির মধ্যেই হুড়োহুড়ি করছিল কয়েক শ মানুষ। তাই কিছুতেই আকাশে উড়াল দিতে পারছিল না এটি। মানুষগুলোর চিৎকার অনেক দূর থেকেই শুনতে পারছিলেন রহিম। কেউ একজন চিৎকার করছিল-'আমরা যেতে চাই, তা না হলে আমরা মরে যাব।' লুকিয়ে থাকার স্থানটিতে বসে রহিম এসব দেখছিল তার সুযোগের অপেক্ষা করছিল।রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা কিংবা ৯টার দিকে একজন চিৎকার করে উঠল, বিমানবন্দরের ভেতরে তালেবানরা ঢুকে পড়েছে। আতঙ্কিত মানুষ আবারও দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সাধ্য কারওরই ছিল না। বিমানবন্দরের বাইরে থেকে গুলির আওয়াজও শুনতে পেলেন রহিম। তারও মনে হলো-তালেবানরা চলে এসেছে। এ অবস্থায় তিনি আবারও জার্মানিতে থাকা বন্ধুটিকে ফোন দিলেন। সেই বন্ধুটি জানাল, জার্মান বিমান ছাড়বে পরের দিন।এই খবরে দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলেন রহিম। কিন্তু এমন সময়ই তিনি দেখলেন মার্কিন সৈন্যদের একটি দল কিছু বিদেশিকে একটি সামরিক টার্মাকে নিয়ে যাচ্ছে। সৈন্যদের একজন বিদেশিদের উদ্দেশ্যে বলছেন, 'এটা আমেরিকার মাটি, তালেবানরা এখানে আসবে না।' এটা শোনা মাত্রই সেই দলটির দিকে ছুটতে শুরু করলেন রহিম। শুধু তিনিই নন, আরও অনেক মানুষই ছুটে যাচ্ছিলেন তাদের দিকে। কানে তখন গুলির আওয়াজও ভেসে আসছিল কোত্থেকে যেন। কিছু সময়ের জন্য সময়টি যেন থমকে গেছে। আর এ সময়ই রহিম শুনতে পেলেন, আমেরিকান সৈন্যরা চিৎকার করে বলছে-'চল, সবাই'। রহিম দেখলেন, বিদেশিসহ অসংখ্য আফগান স্রোতের মতো প্রবেশ করছে বিমানটির ভেতরে। রহিম বুঝতে পারলেন, এটাই তার জীবনের সেরা সুযোগ।প্রাণপণ চেষ্টায় তিনিও ঢুকে পড়লেন বিমানটির ভেতরে! কয়েক শ মানুষ নিমেষেই ঢুকে পড়েছে। সবাই দাঁড়িয়ে আছে। তিল পরিমাণ জায়গা আর অবশিষ্ট নেই। একে অপরের সঙ্গে লেপ্টে যাচ্ছিল মানুষগুলো। অনেকের কোলে ছিল তাদের ছোট্ট শিশু। রহিম নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না। এমন সময়ই বিমানের এক পাইলট ঘোষণা করলেন-বিমানটি কোথাও যাবে না। কারণ এর ভেতরে ধারণক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ।একজন চিৎকার করে বলছিলেন-'দয়া করে বাইরে যান, বাইরে যান. . '। এ সময় কয়েকজন সেনা এগিয়ে এলেন এবং সামনের ও পেছনের দরজার কাছাকাছি থাকা বেশ কিছু মানুষকে ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন। কিছুটা ভেতরের দিকে থাকা রহিমকেও প্রায় বের করে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দরজার কাছে যাওয়া মাত্রই একজন সেনা বললেন, 'যেখানে আছ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকো'! সেখানেই ২০ মিনিট স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রহিম। বাইরে তখন বিমানের কাছ থেকে মানুষদের সরানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে সেনারা। একসময় এক সেনা নির্দেশ দিলেন, দরজার কাছে যারা দাঁড়িয়ে আছ তারা বিমানের ভেতরে চলে আসো। ভেতরে প্রবেশের পরও আরও এক ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিল বিমানটি। তারপরই এটি নড়তে শুরু করল এবং আকাশে উড়ল। এটাই রহিমের জীবনের সবচেয়ে সুখকর সময়। তার চারপাশে থাকা মানুষেরা প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝেই উল্লাসধ্বনি করে উঠল। হাত তালি দিচ্ছিল তারা। | এশিয়া,আফগানিস্তান,সাংবাদিক,তালেবান,কাবুল | গত সোমবার শত শত মানুষ কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। | international |
https://www.prothomalo.com/entertainment/bollywood/শুধু-বলিউড-নয়-এবার-রাজনীতির-আঙিনাজুড়েও-শুধুই-কঙ্গনা | কঙ্গনার সামনে আরও বড় বিপদ | শুধু বলিউড নয়, এবার রাজনীতির আঙিনাজুড়েও শুধুই কঙ্গনা। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই একটাই নাম। শিবসেনা বনাম কঙ্গনার আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ থামার কোনো লক্ষণ নেই। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সরকার এখন উঠেপড়ে লেগেছে মুম্বাই থেকে কঙ্গনাকে চিরতরে উৎখাত করার জন্য। শুধু বলিউড নয়, এবার রাজনীতির আঙিনাজুড়েও শুধুই কঙ্গনা। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এই একটাই নাম। শিবসেনা বনাম কঙ্গনার আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ থামার কোনো লক্ষণ নেই। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সরকার এখন উঠেপড়ে লেগেছে মুম্বাই থেকে কঙ্গনাকে চিরতরে উৎখাত করার জন্য। ইতিমধ্যে বিএমসি এই বলিউড নায়িকার অফিস ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এবার তারা আরও বড় ধাক্কা দিতে চায় কঙ্গনাকে। বিএমসির নজর এই মুহূর্তে কঙ্গনার বাসার দিকে। তবে এসব বিবাদের মধ্যে এক বুক অভিমান নিয়ে কঙ্গনা মুম্বাই ছেড়েছেন, মানালি চলে গেছেন। এক টুইটে তিনি তাঁর মুম্বাই ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে কঙ্গনার সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারের বিবাদ চলে আসছে। আর এ বিবাদের উত্তাপ ক্রমে বেড়েই চলেছে। মানালি থেকে মুম্বাইয়ে পা রাখার আগেই কঙ্গনার অবৈধভাবে নির্মিত অফিস বিএমসি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। তবে এখানেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। এবার কঙ্গনাকে আরও বড়সড় ধাক্কা দিতে চলেছে বিএমসি। আর তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। জানা গেছে, বিএমসি কঙ্গনার অফিসের পর এবার তার বাসা ভাঙবে বলে মনস্থির করেছে। তাই এই বলিউড অভিনেত্রীকে তারা নোটিশ পাঠিয়েছে। বিএমসির অভিযোগ, মুম্বাইতে কঙ্গনার খার এলাকার বাসাটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এখনো এ ব্যাপারে তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। তবে বিএমসি জানিয়েছে যে কঙ্গনার অফিস ও বাসা দুটোই অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। কঙ্গনার এ কেস এখন আদালতে বিচারাধীন। ২৫ সেপ্টেম্বর কেসটির শুনানি হতে চলেছে বলে জানা গেছে। তবে বলিউডের এই ঠোঁটকাটা নায়িকা এখনো এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। কিন্তু বিষয়টি ক্রমে গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এদিকে কঙ্গনা গতকাল সোমবার সকালে এক টুইটারে জানান যে তিনি মুম্বাই ছাড়ছেন। ৯ সেপ্টেম্বর এই বলিউড অভিনেত্রী মুম্বাইয়ে পা রেখেছিলেন। মুম্বাইয়ে আসামাত্রই যে সুরক্ষা তিনি পেয়েছিলেন, মুম্বাই ছাড়ার সময়ও একই সুরক্ষা ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তিনি 'ওয়াই ক্যাটাগরি'র সুরক্ষা পেয়েছিলেন। মুম্বাইয়ে পাঁচ দিনের সফর শেষ করে কঙ্গনা নিজের শহর মানালিতে ফিরেছেন। মুম্বাই ছাড়ার আগে তিনি টুইটে লিখেছেন, 'রক্ষকই এখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সরীসৃপ হয়ে গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। আমাকে দুর্বল ভেবে অনেক বড় ভুল করেছ। একজন নারীকে ভয় দেখিয়ে, তাকে নিচু দেখিয়ে, নিজের ইমেজ ধুলায় মিশিয়েছ।' কঙ্গনা এ টুইটে আরও লিখেছেন, 'ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মুম্বাই ছাড়ছি। এই কদিন ধরে আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার অফিস ভাঙার পর এবার আমার বাড়ির দিকে নিশানা করা হয়েছে। আমার জন্য সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাই আমি আবার বলতে চাই যে মুম্বাইকে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে আমি কোনো ভুল করিনি।' | অভিনয় শিল্পী,কঙ্গনা রনৌত,বিজেপি,বলিউড | কঙ্গনা রনৌত | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/07/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b6%e0%a6%ab%e0%a7%80-%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a4%e0%a7%87-2/ | আল্লামা শফী আইসিইউতে | হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও আল-জামিআতুল দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাত ৮টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী। তিনি বলেন, আব্বা বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই। হেফাজতের আমীরের সুস্থতায় জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী। প্রসঙ্গত, ১০৩ বছর বয়সী আল্লামা আহমদ শফী বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এর আগেও কয়েক দফা অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বার্ধক্যের কারণে এসব রোগ মাঝেমধ্যেই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। | আব্বা,ইসলাম,যাবৎ,শফি,হেফাজত | আল্লামা শাহ আহমদ শফী। । | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/11/01/707396 | 'কমিউনিটি পুলিশিং ডে' সম্মাননায় ভূষিত হলেন মোকলেসুর রহমান | ভালুকায় কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ 'কমিউনিটি পুলিশিং ডে সম্মাননায়' ভূষিত হয়েছেন শেফার্ড গ্রুপ লিমিটেডের জেনারেল মেনেজার মোকলেসুর রহমান। 'শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য' হিসেবে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ওই সম্মাননা প্রদান করেন। শেফার্ড গ্রুপ লিমিটেডের জি.এম মোকলেসুর রহমান ময়মনসিংহ শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৫ কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এসময় ময়মনসিংহ শিল্প পুলিশ-৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই সম্মাননা গ্রহণ করনে জি এম মোকলেসুর রহমান। এসময় ময়মনসিংহ শিল্প পুলিশ-৫ ওসি মো. শহিদুল্লাহসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিডি প্রতিদিন/এমআই | কমিউনিটি, পুলিশিং, ডে, ভূষিত, মোকলেসুর, রহমান | 'কমিউনিটি পুলিশিং ডে' সম্মাননায় ভূষিত হলেন মোকলেসুর রহমান। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/football/401218/ফুটবলে-বেতনে-কে-সেরা? | ফুটবলে বেতনে কে সেরা? | ফুটবলপ্রেমীরা ফুটবলকে যা-না উপভোগ করে, তার চেয়ে বেশি উপভোগ করে মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথ। গত একদশকের চেয়েও বেশি সময় ধরে ভক্তদের মাঝে দুই ফুটবল জাদুকরকে নিয়ে চলে বাক-বিতর্কের লড়াই। কেউ মনে করেন মেসি সেরা, কেউবা বলেন রোনালদো। এই বিতর্ক শুধু ভক্তকূলের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, জড়িয়ে পড়েন কিংবদন্তীরাও। তবে আজকে ভক্তদের জন্য খেলায় নয়, তুলে ধরা হলো, ফুটবল শিল্পের দুই আর্টিস্ট মেসি-রোনালদোর বেতনের দিক থেকে কে সেরা। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত খেলোয়াড়ের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন ফুটবলের অ্যালিয়েনখ্যাত লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। তার বেতন দেখে আঁতকে উঠতে পারেন নেইমার-রোনালদো ভক্তরা। বেশি বেতনের দিক থেকে, মেসির আকাশচুম্বী বেতনে চাপা পড়ে গেছেন রোনালদো-নেইমারও। খেলা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, বেতনে সবাইকে চাপিয়ে তাদের দু'জনকে চাপিয়ে মেসিই সেরা। মেসি ইউরোপের সেরা ক্লাব বার্সেলোনায় খেলেন। ইউরোপিয়ান ক্লাব বার্সালোনা মেসিকে প্রতি বছর ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দিয়ে থাকে, যা বাংলাদেশী ১ হাজার দুইশত ৩৬ কোটি টাকার পরিমাণ। প্রতিমাসে গড়ে ১০.৮ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশী ১০৩ কোটি টাকা) মেসির বেতন ধার্য হয়। তারপরই রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই ফুটবলার দীর্ঘ সময় রিয়াল মাদ্রিদে কাটিয়েছেন। ইউরোপিয়ান লিগ সিরি-এ ক্লাব জুভেন্টাস ১২০ মিলিয়ন পাউন্ডে রিলিজ ক্লজে কিনে নেয়। জুভেন্টাসে রোনালদোর বার্ষিক বেতন ১১৩ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশী ১ হাজার কোটি টাকার পরিমাণ। মাসিক বেতন ৯.৪ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশী ৮৯ কোটি টাকা) বেতন দিয়ে থাকে জুভেন্টাস। মেসি-রোনালদোর পর রয়েছে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নেইমার। বার্সেলোনা থেকে ২২২ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজে পিএসজিতে যান নেইমার। যদিও নেইমার রিলিজ ক্লজে বিশ্বের দামি খেলোয়াড়ে বনে গেছেন; কিন্তু বেতনের দিক থেকে মেসি-রোনালদোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। নেইমারকে পিএসজি বার্ষিক বেতন দিয়ে থাকে ৯১.১ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশী ৮শ' কোটি টাকার পরিমাণ। মাসিক বেতন ৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশী ৭০ কোটি টাকা)। নেইমারের পরেই রয়েছেন, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের অন্যতম স্ট্রাইকার অ্যান্টনিও গ্রীজম্যান। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ গ্রীজম্যানকে বার্ষিক ৪৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দেয়, যা বাংলাদেশি ৪শ' কোটি টাকা থেকেও বেশি হয়। মাসিক বেতন ৩.৬ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি ৩০ কোটি টাকা)। গ্যারেথ বেল রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবলারকে বার্ষিক ৪০.২ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দেয় রিয়াল, যা বাংলাদেশি ৩শ' ৮০ কোটি টাকা। মাসিক বেতন ৩.৩ মিলিয়ন তথা বাংলাদেশী ২৫ কোটি টাকা। যদিও নেইমার রিলিজ ক্লজে বিশ্বের দামি খেলোয়াড়ে বনে গেছেন। বলা হচ্ছে, মেসি যদি রিলিজ ক্লজে অন্য দলে যেতেন, তবে সেই রেকর্ডটি গড়ার কারিগর মেসি সেই রেকর্ডটিও নিজের করে নিতেন। ম্যানচেস্টার সিটি মেসিকে ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো অপার করেছিলো, তবে নিজের শৈশবের ক্লাবকে ভালোবেসে, টাকার কাছে নিজেকে বিক্রি না করে, বার্সাতেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চান মেসি। | null | মেসি, রোনালদো, নেইমার | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/174036/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0 | বাবার স্বপ্ন সত্যি করতে পেরেছেন মাসুদুর | ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন অদম্য মেধাবী মাসুদুর রহমান। তাঁর বাবা মাওলানা আব্দুর রাশিদের ইচ্ছা ছিল ছেলেকে মেডিকেলে পড়াবেন। যদিও মাসুদুরের বাবা তাঁর ছেলের সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। দুই বছর আগে মারা যান তিনি।বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে সংসারের দায়িত্ব পড়ে মাসুদুরের ওপর। এই অল্প বয়সে সংসারের সব দায়িত্ব নিয়েও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাসুদুর। মাসুদুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে মামার বাড়িতে বড় হয়েছেন।বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করেন মাসুদুর। মাসুদুরের এই সাফল্যে উৎসবের আমেজ বইছে উপজেলার অরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে। এই দুটি বিদ্যালয়ে সে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেছেন।মাসুদুর বলেন, 'আমার বাবা ছিলেন প্রবাসী। আমাদের লেখাপড়া করানোর জন্য বাবা বিদেশে অনেক পরিশ্রম করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, মেডিকেলে চান্স পেয়েছি। আব্বু আমার সাফল্য দেখে যেতে পারেননি সত্য। কিন্তু তার স্বপ্নটাকে সত্যি করতে পেরেছি।'অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক হিজবুল্লাহ মাহবুব বলেন, 'আমাদের স্কুল থেকে মাসুদুর সাফল্যের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র মেডিকেল পড়ার সুযোগ পেয়েছে এটা আমাদের গর্ব।' | ব্রাহ্মণবাড়িয়া,চট্টগ্রাম বিভাগ,ভর্তি পরীক্ষা,সরাইল | মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া মাসুদুর রহমান। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/67273/%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | পূর্বাচলে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণকাজ শুরু | রাজধানীর পূর্বাচলে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ শুরু করেছে দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি)। পূর্বাচলের ৯ নম্বর সেক্টরে শনিবার বিকেলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত স্থাপন করেন ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।প্রধান অতিথির বক্তব্যে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেইন বলেন, 'আমি যখন প্রথম চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সঙ্গে দেখা করি, তখন তিনি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। কখনোই ভাবিনি, আমিই সেটির ভিত্তি স্থাপন করব। ঢাকায় আমার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আর এ জন্য সাড়ে চার বছর আগে তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখা করার পর আজ এখানে এই অনুষ্ঠানে এসে খুব ভালো অনুভব করছি।'নাফিজ সরাফাত আমাকে তাঁর কিছু স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই ক্যাম্পাস ঢাকায় সব সময় কানাডার একটি ছোট অংশ হবে। আমি এখানে এসেও তাই দেখছি। চারপাশে সবুজ মাঠ। যখন এই ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে যাবে, তখন এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকবে। পড়াশোনার পাশাপাশি তারা আরও অনেক কিছু করবে। সেসব অভিজ্ঞতা তারা এখানে অর্জন করবে, যা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই পাওয়া যায়।'বেনোয়া প্রিফন্টেইন বলেন, 'আমি এখন থেকে ১৫ বছর পরের কথা ভাবছি, যখন নতুন নতুন কোম্পানি আসবে আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেগুলো পরিচালনা করবে। এর মাধ্যমে তারা মেধা ও প্রযুক্তি দিয়ে এই শহর ও দেশকে উন্নত করবে।'কানাডিয়ান হাইকমিশনার বলেন, 'বাংলাদেশ ও কানাডার সম্পর্ক খুব ভালো। আমি স্বপ্ন দেখি যে এই ভালো সম্পর্ক আরও বহু দূর যাবে। আমি বিশ্বাস করি, কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করবে। কানাডার শিক্ষার্থীরা এখানে আসবে। তারা এশিয়া সম্পর্কে জানবে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও অধ্যাপকেরা কানাডা যাবেন।'অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, 'আজকের দিনটি আমাদের জন্য এক বিশেষ মাইলফলক। কারণ, আমরা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত স্থাপন করেছি। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব দিগন্তের বাইরে অন্বেষণ করতে, সহনশীল হতে ও সংস্কৃতি, জাতি, ধর্ম বা প্রেক্ষাপটের বিভেদকে অতিক্রম করে পারস্পরিক বন্ধন আবিষ্কারে অনুপ্রাণিত করে।'ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, 'আমাদের ফ্যাকাল্টি, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাইসহ সিইউবি-সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। শুরুর দিন থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সাহায্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়ায় আমি আন্তরিকভাবে বেনোয়া প্রিফন্টেইন ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।'আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ আজ শুরু হলো। আমার বিশ্বাস, কাজ শেষ হলে ক্যাম্পাসটি ঢাকা শহর ও দেশের শিক্ষা খাতে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে।'স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিক বর্ণনা করে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, 'আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় ভবন, দৃষ্টিনন্দন লেক এবং বিশাল খেলার মাঠ থাকছে আমাদের ক্যাম্পাসে। তার চেয়েও বড় কথা, এটি হতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব একটি ক্যাম্পাস। সর্বাধুনিক ল্যাব, স্টুডিও, লাইব্রেরি, থিয়েটার, স্টাডি জোনের সঙ্গে থাকছে শিক্ষার্থী লাউঞ্জ, অবসর কাটানোর জায়গা, জিম, ফুড লাউঞ্জসহ বিভিন্ন সুবিধা। শিক্ষার্থীদের মনে রাখার মতো একটি অভিজ্ঞতা দিতেই ক্যাম্পাসটি গড়ে তোলা হচ্ছে।'ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, 'আমরা সব সময় পর্বতশীর্ষের চাকচিক্য দেখে মুগ্ধ হই। কিন্তু আমার কাছে পর্বতের ভিত্তিপ্রস্তরটির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই আজকের দিনটি এতটা তাৎপর্যপূর্ণ।'কানাডিয়ান হাইকমিশনের কাউন্সিলর এবং সিনিয়র কমিশনার এঞ্জেলা ডার্ক, স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা সাহিদ, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রাহিব চৌধুরী এবং আব্দুল মুমেন গ্রুপের সিইও মাইনুদ্দিন মুনেম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নির্বাহী চেয়ারম্যান শাহানুল হাসান খান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সিনিয়র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।পূর্বাচলে ১২ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সুবিশাল ক্যাম্পাস। সেখানে নির্মাণ করা হবে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ল্যাব বিল্ডিং, বিনোদন, অডিটরিয়াম, লাইব্রেরি ও প্রার্থনাকক্ষ।বিশ্বমানের স্থাপত্য নকশায় গড়ে তোলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস।কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে রয়েছে আধুনিক সময়ের উপযোগী বিভিন্ন বিভাগ। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে রয়েছে বৃত্তির সুযোগ। ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।এ ছাড়া কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে সাজানো হয়েছে পাঠ্যক্রম।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সর্বোত্তম মানের শিক্ষা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে প্রায়োগিক জ্ঞানের ওপর জোর দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। | শিক্ষা,রাজধানী,কানাডা | পূর্বাচলে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠান। সিইউবি কর্তৃপক্ষ | education-career |
https://www.ajkerpatrika.com/53639/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95 | মোবাইলে প্রেমের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুই যুবক গ্রেপ্তার | সিলেট হবিগঞ্জগের কিশোরির সঙ্গে মোবাইলে ফোনে পরিচয়ের পর প্রেম। কিছুদিন পর জুয়েল খাঁ কিশোরিকে নিয়ে ঘুরতে যান সিলেটে। রাতে হোটেলে এসে যোগ হয় কথিত প্রেমিকের বন্ধু জুনেদ মিয়া। রাতভর কিশোরিকে ধর্ষণ করেন তাঁরা। এই ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শনিবার বিকাল ৪টায় গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবককে আদালতে তোলা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁরা।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কথিত প্রেমিক জুয়েল খাঁ (২২) ও জুনেদ মিয়া (২৬)। জুয়েল নবীগঞ্জ উপজেলার ববকান্দি গ্রামের মৃত হুদ খাঁর ছেলে ও জুনেদ মিয়া, বরগাঁও গাজী মোকাম গ্রামের মৃত আহম্মদ মিয়ার ছেলে। গত শুক্রবার রাতে সিলেট জেলার নবীগঞ্জের বরগাঁও থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বাহুবল থানা পুলিশ।বাহুবল মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, 'জুয়েল খাঁ'র সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় বাহুবল উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জনৈক ওই কিশোরীর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জুয়েল খাঁ ওই কিশোরীকে নিয়ে সিলেট ঘুরতে যায়। সেখানে একটি হোটেলে জুয়েল ও তার বন্ধু জুনেদ ওই কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণ করে। পরদিন শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরীকে বাসে করে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে তাঁরা চলে যান। বাড়িতে ফিরে কিশোরী পুরো বিষয়টি স্বজনকে জানায়। পরে এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে কিশোরির মা বাদি হয়ে বাহুবল থানা মামলা দায়ের করেন। রাতে পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।'তিনি আরও জানান, 'ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। আজ বিকেলে ৪টায় গ্রেফতারকৃতরা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তারা আদালতের কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।' | হবিগঞ্জ,ধর্ষণ,গ্রেপ্তার,সিলেট বিভাগ | মোবাইলে প্রেমের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুই যুবক গ্রেপ্তার | national |
https://samakal.com/sports/article/1703275703/শ্রীলঙ্কাকে-৪৯৪-রানে-থামাল-বাংলাদেশ | শ্রীলঙ্কাকে ৪৯৪ রানে থামাল বাংলাদেশ |
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৪৯৪ রানে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। শেষ দিকে বোলারদের নৈপুণ্যে ৩৭ রানে চার উইকেট তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসে সেরা বোলার মেহেদী হাসান মিরাজ; ১১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এবার দলকে টানার দায়িত্ব ব্যাটসম্যানদের। এরইমধ্যে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ১৭ তুলেছে। এর মধ্যে অবশ্য স্লিপে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন সৌম্য সরকার।
এর আগে বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করতে নেমে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ছয় উইকেটে ৪৪৩ রান করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম সেশনে কুশল মেন্ডিস (১৯৪) ও নিরোশান ডিকওয়েলারকে (৭৫) সাজঘরে পাঠায় টাইগাররা। দুজনকেই আউট করেন মিরাজ।
ছক্কা হাঁকিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে গিয়ে মিরাজের বলে লং-অনে বাউন্ডারি লাইনে তামিম ইকবালের তালুবন্দি হন মেন্ডিস। দলীয় সংগ্রহ ৪০০ থেকে ২ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। ১৯৪ রানের ইনিংসে মেন্ডিস ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। পঞ্চম উইকেটে ডিকওয়েলারের সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস।
প্রথম দিনে মঙ্গলবার খেলা হয় ৮৮ ওভার। মেন্ডিসের ১৬৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। দলীয় ৯২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আসিলা গুনারাত্নের (৮৫) সঙ্গে ১৯৬ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন মেন্ডিস।
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৯৪ (মেন্ডিস ১৯৪, গুনারত্নে ৮৫, ডিকভেলা ৭৫, পেরেরা ৫১, করুনারত্নে ৩০, হেরাথ ১৪; মুস্তাফিজ ২/৬৮, তাসকিন ১/৭৭, শুভাশীষ ১/১০৩, মিরাজ ৪/১১৩, সাকিব ১/১০০, সৌম্য ০/৯, মাহমুদউল্লাহ ০/১০)
| গল টেস্ট,বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা | গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে মিরাজই নিয়েছেন ৪ উইকেট, ডিকভেলারকে আউট করার পর সতীর্থদের সঙ্গে মিরাজ-এএফপি | sports |