passage_answer_candidates
sequence | question_text
stringlengths 1
226
| document_title
stringlengths 1
116
| language
stringclasses 11
values | annotations
sequence | document_plaintext
stringlengths 11
739k
| document_url
stringlengths 31
792
|
---|---|---|---|---|---|---|
{
"plaintext_start_byte": [
1,
2698,
6357,
7220,
9003,
10384,
13106,
14196,
14383,
16791,
17761,
21240,
23778,
26437,
28295,
30712,
31206,
32643,
32824,
33018
],
"plaintext_end_byte": [
2678,
6334,
7106,
8956,
10355,
13046,
14194,
14350,
16759,
17738,
21136,
23752,
26411,
28268,
30660,
31180,
32607,
32735,
32988,
33444
]
} | খুলনা পাবলিক কলেজের প্রথম অধ্যক্ষের নাম কী ? | খুলনা পাবলিক কলেজ | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
খুলনা পাবলিক কলেজ বাংলাদেশের খুলনা নগরীর বয়রাতে অবস্থিত একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংক্ষেপে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি 'কেপিসি' নামে পরিচিত। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক সরাসরি পরিচালিত একটি স্বায়ত্বশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। [1] পূর্বে কেপিসি'র নাম ছিল 'সুন্দরবন বয়েজ পাবলিক স্কুল'।এরপরে উচ্চমাধ্যমিক চালু হবার সময় এর নামকরণ করা হয় 'সুন্দরবন বয়েজ পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ'। সবশেষে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম 'খুলনা পাবলিক কলেজ' করা হয়,যে নামে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে।প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই খুলনা পাবলিক কলেজ ব্রিটেনের বিখ্যাত পাবলিক স্কুল গুলোকে অনুসরণ করে আসছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্রের দিক দিয়ে এটি বাংলাদেশেরই অন্যএকটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজর অনুরূপ।[2][3] শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য পরিচালিত কেপিসি তে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়।২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় কেপিসি কে খুলনা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত করে পুরস্কার প্রদান করে। [4]
ইতিহাস
খুলনা পাবলিক কলেজ ১৯৮৭ সালের ২০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়।[3] যদিও ৬০'র দশকে পাকিস্তান সরকার খুলনা অঞ্চলে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য কেপিসি র পুরাতন ভবনটি তৈরি করে।কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর আগেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের শত্রুপক্ষ পাকিস্তানী সৈন্যরা এটিকে তাদের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে।স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি কারাগার হিসেবে ব্যবহৃত হত।১৯৮৩ সালে কারাগার স্থানান্তরিত হলে এই ক্যাম্পাসটি 'অথরিটি অব ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট'র (বর্তমান নাম শিক্ষা প্রকৌশলীর অধিদপ্তর) অধীনে আসে। [2] অন্যদিকে যে উদ্দেশ্য নিয়ে একসময় এটির সৃষ্টি হয়েছিল সেই উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপদানের জন্য খুলনা অঞ্চলের অধিবাসীরা দাবী জানাতে শুরু করেন। খুলনার গণমানুষের দাবীর মুখে এবং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মমিন উদ্দিন আহমেদ এবং শিক্ষা সচিব কাজী আজহার আলীর স্বদিচ্ছায় ১৯৮৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে এটি যাত্রা শুরু করে। [3] সেই একই বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চমাধ্যমিকও চালু করা হয়।
সর্বপ্রথমে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল 'সুন্দরবন বয়েজ পাবলিক স্কুল'।উচ্চমাধ্যমিক চালু হবার পরে নামকরণ করা হয় 'সুন্দরবন বয়েজ পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ'।এরপরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম দেয়া হয় খুলনা পাবলিক কলেক,যে নামেই বর্তমানে এটি পরিচালিত হচ্ছে।প্রথমে এখানে শুধুমাত্র প্রভাতী শাখা (সকাল ৮.০০-দুপুর ১.০০) চালু থাকলেও ২০০৩ সাল থেকে দিবা শাখা(দুপুর ১.৩০-বিকাল ৫.৩০) শুরু করা হয়।
প্রশাসন
খুলনা পাবলিক কলেজ একটি পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব এই পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করেন কলেজ অধ্যক্ষ।এছাড়া প্রভাতী ও দিবা শাখায় দু'জন করে উপাধ্যক্ষ রয়েছেন। [3]
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষগণ
ভর্তি প্রক্রিয়া
খুলনা পাবলিক কলেজে দুই (প্রভাতী এবং দিবা) শিফটে তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।শুধুমাত্র তৃতীয় এবং একাদশ শ্রেণীতে এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।তবে কোন শ্রেণী থেকে বেশি মাত্রায় শিক্ষার্থী চলে গেলে শুন্য আসনের ভিত্তিতে মাঝে মাঝে অন্যান্য শ্রেণীতে শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি হবার সুযোগ দেয়া হয়।[5] তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। সীমিত সংখ্যক আসনের কারণে ভর্তি পরীক্ষাটি খুবই প্রতিযোগিতামূলক।শিক্ষার্থীরা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে নির্বাচিত হয়।এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয়।একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয় তাদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ অনুসারে।[5]
শিক্ষাকার্যক্রম
খুলনা পাবলিক কলেজ কলেজ জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে থাকে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্য বিষয়সমূহের সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত শিক্ষা, চারু ও কারুকলা এবং বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখার ক্লাসেও অংশ নিতে পারে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের নিয়মানুযায়ী ৯ম এবং ১১শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান,বানিজ্য,মানবিক এই তিনটি বিভাগের যেকোন একটি নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক এবং সে অনুযায়ী নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা নিজ পছন্দমত বিভাগ নির্বাচন করে থাকে । [3]
পাঠ্যক্রম
খুলনা পাবলিক কলেজে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা প্রদান করা হয়।বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে এসব স্তরে বাংলা মাধ্যমে পাঠদান করা হয়।[6][7] প্রতিবছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক (বৃটিশ ও লেভেল সমমর্যাদার) এবং উচ্চমাধ্যমিক (বৃটিশ এ লেভেল ও আমেরিকান হাইস্কুল ডিপ্লোমা সমমর্যাদার) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।এছাড়া তারা অষ্টম শ্রেণী সমাপনি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বপূর্ন ফলাফল করে।শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেমন গণিত অলম্পিয়াড,ফিজিক্স অলিম্পিয়াড,এস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছে।
কেপিসি’তে বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক অনুমোদিত সিলেবাস অনুসরণ করে বাংলা মাধ্যমে পাঠদান করা হয়।মাধ্যমিক (নবম-দশম শ্রেণী) ও উচ্চমাধ্যমিক (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী)স্তরে শিক্ষার্থীদেরকে মানবিক,ব্যবসা শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগে বিভক্ত করে পাঠদান করা হয়।[6][7]
প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য
শুরু থেকেই খুলনা পাবলিক কলেজ বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়।বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ছাত্রদের অভূতপূর্ব সাফাল্যের ফলে কেপিসি খুলনা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। শুধু খুলনা বিভাগ নয়,বাংলাদেশের অন্যান্য সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর ফলাফলের সাথে তুলনা করলেও কেপিসি কোন অংশে পিছিয়ে নেই।[3]
কেপিসি'র সাম্প্রতিক কয়েক বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলঃ [3][8]
সাম্প্রতিক কয়েক বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলঃ [3][8][9]
বিদ্যায়তন
খুলনা পাবলিক কলেজ ৫.৩৪৮২ একর জমির উপর অবস্থিত যার চারদিকে আবাসিক এলাকা ঘিরে রয়েছে।[3] ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে রয়েছেঃ স্টুডেন্ট হাউস(ছাত্রাবাস),অধ্যক্ষের পৃথক বাস ভবন,একটি মসজিদ,একটি অডিটোরিয়াম,বেশ কয়েকটি সুদৃশ্য বাগান,দুটি আন্তঃসংযুক্ত শিক্ষা ও প্রশাসনিক ভবন,একটি নতুন শিক্ষা ভবন,একটি পুরাতন ভবন(বর্তমানে অব্যবহৃত) এবং একটি বিরাট খেলার মাঠ।পুরনো ভবনটি বর্তমানে আর ব্যবহার করা হয় না।ভবনগুলির যে অংশ একাডেমিক কাজে ব্যবহৃত হয় সেখানে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরী ও পাঠকক্ষ এবং জীববিজ্ঞান, রসায়ন,পদার্থবিজ্ঞান, ভূগোল, মনোবিদ্যা এবং কম্পিউটার ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক বিজ্ঞানাগার। [10] প্রশাসনিক অংশে রয়েছে অধ্যক্ষের কার্যালয়, অন্যান্য প্রশাসনিক অফিস,শিক্ষকদের জন্য একটি বিশ্রামকক্ষ, একটি সেন্ট্রাল হল, শিক্ষকদের জন্য কমন রুম। বিদ্যায়তনটিতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে।
গ্রন্থাগার
কেপিসি'র লাইব্রেরী ৫,৮২৪ টি বইয়ের এক বিশাল সম্ভার নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।শুধু মাত্র পাঠ্য বই নয় লাইব্রেরীটিতে বিভিন্ন সম্পূরক পুস্তক,পত্রিকা,জার্নালের একটি বড় সংগ্রহ রয়েছে।প্রতিনিয়ত লাইব্রেরীটিকে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে।প্রতিদিন ক্লাস চলাকালীন সময়ে লাইব্রেরী খোলা থাকে।লাইব্রেরীর সাথেই রয়েছে একটি পাঠ কক্ষ যেখানে ছেলেরা বই নিয়ে পড়াশুনা করতে পারে।[3]
হোস্টেল
কেপিসি’তে যে দুটি ছাত্রাবাস আছে তাদেরকে ‘হাউস’ বলা হয়।[6][7] জ্যেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষিকা মণ্ডলীর মধ্য থেকে একজনকে ‘হাউস মাস্টার’ মনোনীত করা হয় যারা একেকটি হাউসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।হাউসের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিষয়টি দেখভালের জন্য প্রতিটি হাউসের জন্য একজন শিক্ষককে ‘হাউস টিউটর’ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।এছাড়া দ্বাদশ শ্রেণী পড়ুয়া কোন একজন শিক্ষার্থীকে হাউস মাস্টার ‘হাউস প্রিফেক্ট’ নির্বাচিত করেন যে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।প্রতিটি হাউসের জন্য পৃথক ‘হাউস প্রিফেক্ট’ রয়েছে।হাউস মাস্টার এবং হাউস প্রফেক্টের সমন্বয়ে হাউসের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা,গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য শৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যাবলী নির্ধারিত হয়।প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে আড়াই ঘণ্টা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তত্বাবধানে হাউসের শিক্ষার্থীরা তাদের রাতের পড়া সম্পন্ন করে।হাউস মাস্টার ছাড়াও অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ হাউসের সকল কর্মকাণ্ড নিয়মিত পর্যবেক্ষন করেন।হাউসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।প্রতিটি হাউসে একটি কমনরুম,একটি অফিস রুম, একটি খাবার ঘর, একটি পাঠকক্ষ আছে।হাউস গুলোর সম্মুখ ভাগে সুন্দর বাগান রয়েছে।এছাড়া মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মসজিদ আছে।কমন রুমে শিক্ষার্থীরা টিভি দেখে,বিভিন্ন মিটিং করে এছাড়া টেবিল টেনিস,দাবা,ক্যারামসহ বিভিন্ন ইনডোর গেম খেলে থাকে। [6]
সহশিক্ষা কার্যক্রম
সাংস্কৃতিক সপ্তাহ
শিক্ষার্থীদের অন্তর্জগতের সৃজনশীল স্বত্বাকে আবিস্কারের লক্ষ্যে 'কেপিসি' সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বদিয়ে বিবেচনা করে।এজন্য প্রতিবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে 'সাংস্কৃতিক সপ্তাহ' আয়োজন করা হয়।সাংস্কৃতিক সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিতর্ক,আবৃত্তি,সঙ্গীত,নাটক,গল্পবলা,ক্যারিক্যাচার,চিত্রকলাসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন সৃজনশীল মাধ্যমগুলোতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে থাকে। [10] এর সাথে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারের প্রথম ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সহ-শিক্ষাক্রম কর্মকাণ্ডের জন্য নির্ধারিত থাকে যাকে 'সিটিপি' (CTP-Class Teachers' Period) নামে অবিহিত করা হয়।[3] প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেপিসি'র শিক্ষার্থীরা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করে।এছাড়া পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ,বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস(২৬ মার্চ),বিজয় দিবস(১৬ ডিসেম্বর),কেপিসি-ডে(২০ জানুয়ারি) উপলক্ষে বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন ও তাতে অংশ গ্রহন করে কেপিসি'র ছাত্র ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।[3]
খেলাধুলা
কেপিসি’র যে কোন শিক্ষার্থীর জীবনে খেলাধুলা একটি বিশেষ স্থান দখল করে থাকে।বহিরাঙ্গনে ক্রিকেট এবং ফুটবলই বেশি খেলে তারা।[11] সাধারণত শীতকালে ক্রিকেট এবং গ্রীষ্মকালে ফুটবল খেলাই জনপ্রিয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।কেপিসি’র ফুটবল ও ক্রিকেট টীম আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সুনাম অর্জন করেছে।এছাড়া বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ের নানাধরণের খেলার প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠানটির খেলার মাঠে বিভিন্নসময়ে অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিবছর বার্ষিক ফুটবল এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি; যেখানে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী ও হাউস অনুসারে অংশগ্রহন করে।[12] এছাড়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইনডোর গেমেও অংশ নেয়।যেমনঃটেবিল টেনিস,ক্যারাম,দাবা ইত্যাদি।প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে খুলনা পাবলিক কলেজ ‘বার্ষিক ক্রীড়া সপ্তাহ’ আয়োজন করে।সকল শিক্ষার্থী এই ক্রীড়া সপ্তাহে অংশগ্রহন এবং নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য মুখিয়ে থাকে।তারা বিভিন্ন হাউসে বিভক্ত হয়ে দৌড়,রিলে দৌড়,উচ্চলম্ফ, দীর্ঘলম্ফ,শটপুট, ওয়েট থ্রো,জ্যাভ্লিন থ্রো,ডিসকাস থ্রো সহ বিভিন্ন খেলায় অংশ নেয়।[13][14]
প্রকাশনা
কেপিসি প্রতি বছর প্রত্যাশা নামে একটি সাময়িকী প্রকাশ করে।[3][10] সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী,শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য কর্মচারীদের বিভিন্ন মৌলিক লেখা প্রকাশিত হয়। যেমনঃপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন সংবাদ,কবিতা,প্রবন্ধ,গল্প,বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী,রহস্য রোমাঞ্চ,কৌতুক ইত্যাদি।সাময়িকীটি প্রতিষ্ঠানটির সুপ্ত প্রতিভাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি মাধ্যম এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনা প্রকাশের একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এছাড়া কেপিসি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন উপলক্ষে অনেক ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করে।প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সহ বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিনে দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করে। [10]
ইউনিফর্ম
তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল ছাত্রের ইউনিফর্ম হল সাদা ফুল প্যান্ট,সাদা ফুলহাতা বা হাফহাতা শার্ট এবং কালো রঙের বেল্ট।এর সাথে থাকে সাদা পা মোজা এবং কালো অক্সফোর্ড জুতো । শীতকালে এগুলোর পাশাপাশি নেভি ব্লু হাফ হাতা বা ফুল হাতা সোয়েটার যুক্ত হয়।এছাড়া সব ছাত্রের শার্টের উপরে কাধে বিশেষ স্কন্ধ বন্ধনী সংযুক্ত থাকে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কন্ধবন্ধনীর প্রস্থ ১.২৫ ইঞ্চি এবং সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কন্ধবন্ধনীর প্রস্থ ১.৫০ ইঞ্চি । প্রত্যেকের শার্টের কলারের কাছে কাছে বিশেষ চিহ্ন থাকে যা থেকে বোঝা যায় সে প্রভাতী বা দিবা শাখার ছাত্র। সব শিক্ষার্থীকে তার নাম,ক্লাস ও কলেজ নম্বর যুক্ত ব্যাজ ধারন করা বাধ্যতামূলক।এছাড়া শিক্ষার্থীদের আলাদা স্পোর্টস ইউনিফর্ম রয়েছে।সাদা টি-শার্ট এর সাথে হাউস অনুসারে সাদা বা নেভিব্লু হাফ প্যান্ট এবং স্পোর্টস শু স্পোর্টস ইউনিফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।যে সকল ছাত্র ছাত্রাবাসে থাকে তাদের জন্যও বিশেষ পোশাক নির্দিষ্ট করা রয়েছে। [3]
রজত জয়ন্তী উদযাপন
২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি খুলনা পাবলিক কলেজ তার রজত জয়ন্তী উদযাপন করে।[10][15] কেপিসি'র প্রাক্তন এবং তৎকালীন ছাত্ররা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রজত জয়ন্তী উদযাপন কে বর্ণিল করে তোলে।
স্বীকৃতি
২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় কেপিসি কে খুলনা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত করে পুরস্কার প্রদান করে। [4] প্রতিবছর কেপিসি'র শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করে যশোর বোর্ড এবং সমগ্র বাংলাদেশে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে।এছাড়া গণিত উৎসব,ভাষা প্রতিযোগ,ফিজিক্স অলিম্পিয়াড,এস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে কেপিসি'র শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে স্থানীয়,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের পক্ষে সুনাম অর্জন করেছে। [16]
[17][18]
ফটো গ্যালারী
পুরাতন একাডেমিক ভবন
একাডেমিক ভবন
বহিঃসংযোগ
যশোর বোর্ডে
আরও দেখুন
বাংলাদেশের কলেজের তালিকা
বাংলাদেশের বিদ্যালয়সমূহের তালিকা
তথ্যসূত্র
বিষয়শ্রেণী:খুলনা জেলার কলেজ
বিষয়শ্রেণী:খুলনা জেলার বিদ্যালয়
বিষয়শ্রেণী:১৯৮৭-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বিষয়শ্রেণী:খুলনা বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C |
{
"plaintext_start_byte": [
3,
1343,
2459,
3913,
4850,
7102,
9167,
11474,
13618,
14322,
16136,
16686,
17680,
19538,
21322,
22275,
23576,
24936,
25792,
27566,
30110,
31991,
33229,
35037,
36494,
37837,
39104,
40074,
42217,
43371,
43808,
45066,
46007,
47288,
48176,
50769,
52121,
52926,
54810,
56207,
57796,
60393,
61663,
62865,
63407,
64702,
65459,
67165,
68849,
69621,
70318,
71958,
72809,
74781,
76692,
77616,
78781,
79529,
82049,
82790,
83668,
83882,
85400,
86094,
87339,
87760,
88933,
90147,
90327,
91068,
91701,
92689,
93593,
94728,
95858,
97113,
98071,
99322,
99974,
101449,
102441,
102803,
102914
],
"plaintext_end_byte": [
1342,
2458,
3912,
4849,
7076,
9166,
11435,
13617,
14321,
16135,
16654,
17679,
19537,
21285,
22258,
23575,
24899,
25791,
27537,
30095,
31989,
33171,
35036,
36493,
37814,
39103,
40073,
40688,
43370,
43785,
45065,
46006,
47262,
48175,
50680,
52120,
52925,
54809,
56161,
57795,
60348,
61662,
62768,
63406,
64701,
65423,
67164,
68848,
69619,
70247,
71957,
72808,
74780,
76665,
77615,
78780,
79528,
82048,
82787,
83667,
83853,
85374,
86093,
87247,
87759,
88932,
90145,
90270,
91067,
91700,
92628,
93592,
94727,
95857,
97112,
98070,
99279,
99973,
101448,
102410,
102689,
102872,
103097
]
} | డైనోసార్లు సుమారుగా ఎంత పొడవు ఉంటాయి? | భూమి | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
సౌరకుటుంబం లోని గ్రహాల్లో భూమి ఒకటి. సూర్యుడి నుండి మూడవ గ్రహం. మానవునికి తెలిసిన ఖగోళ వస్తువుల్లో జీవం ఉన్నది భూమి ఒక్కటే. రేడియోమెట్రిక్ డేటింగు ద్వారాను, ఇతర ౠజువుల ద్వారానూ భూమి ఏర్పడి 450 కోట్ల సంవత్సరాల కిందట ఏర్పడిందని తేలింది.[10][11][12] భూమి గురుత్వశక్తి అంతరిక్షంలోని ఇతర వస్తువులపై, ముఖ్యంగా సూర్య చంద్రులపై - ప్రభావం చూపిస్తుంది. భూమి సూర్యుని చుట్టూ 365.26 రోజులకు ఒక్కసారి పరిభ్రమిస్తుంది. దీన్ని ఒక భూసంవత్సరం అంటారు. ఇదే కాలంలో భూమి 366.26 సార్లు తన చుట్టూ తాను తిరుగుతుంది. దీన్ని భూభ్రమణం అంటారు.
భూమి భ్రమణాక్షం దాన్ని పరిభ్రమణ కక్ష్యాతలానికి లంబంగా కాక, వంగి ఉంటుంది. ఈ కారణంగా ఋతువులు ఏర్పడుతున్నాయి.[13] భూమి చంద్రుల గురుత్వ శక్తుల పరస్పర ప్ర్భాఅవాల కారణంగా సముద్రాల్లో ఆటుపోట్లు కలుగుతున్నాయి. ఈ కారణంగానే భూమి తన కక్ష్యలో స్థిరత్వాన్ని కలిగి ఉంటుంది. ఈ కారణం వల్లనే భూ భ్రమణ వేగం క్రమేపీ తగ్గుతుంది.[14] భూమి సౌరవ్యవస్థలో అత్యంత సాంద్రత కలిగిన గ్రహం. సౌరవ్యవస్థలోని నాలుగు రాతి గ్రహాల్లోనూ ఇది అతి పెద్దది.[15]
భూగోళం యొక్క బాహ్య పొరను ఎన్నో ఫలకాలుగా లేదా టెక్టోనిక్ ప్లేట్లుగా విభజించవచ్చు. ఆ పొరలు ఎన్నో లక్షల సంవత్సరాలుగా ఉపరితలంపై ప్రయాణిస్తూ వస్తున్నాయి. భూమి మీద దాదాపు 71 శాతం ఉపరితలం ఉప్పునిటితో కప్పబడి ఉంది.[16] మిగిలిన భాగంలో ఖండాలు, ద్వీపాలూ ఉన్నాయి. వీటిలో కూడా నదులు, సరస్సులు మొదలైన రూపాల్లో నీరు ఉంది. జీవానికి అవసరమైన ద్రవరూపంలోని నీరు, సౌరవ్యవస్థలోని వేరే ఏ గ్రహంలోనూ లేదు. ఎందుకంటే ఇతర గ్రహాలు మిక్కిలి వేడిగా లేదా చల్లగా ఉంటాయి. అయినా పూర్వం అంగారక గ్రహంపై ద్రవ నీరు ఉండినట్లు నిర్ధారించబడింది. అది ఇప్పుడు కూడా ఉండే అవకాశాలు ఉన్నాయి.
భూమి ధ్రువాల్లో అధిక భాగాన్ని మంచు కప్పేసి ఉంటుంది. అంటార్కిటికా మంచు ఫలకం, ఆర్కిటిక్ సముద్రపు మంచు పలకలూ ఇందులో భాగం. భూమి అంతర్భాగంలో ఇనుముతో కూడిన కోర్ (గర్భం), దాని చుట్టూ ద్రవ ఇనుముతో ఉండే బాహ్య గర్భం ఉన్నాయి. ఈ ద్రవ ఇనుము కారణంగా భూమికి అయస్కాంత శక్తి ఏర్పడింది. బాహ్య గర్భం వెలుపల మ్యాంటిల్ ఉంటుంది. ఇదే టెక్టోనిక్ ప్లేట్లకు చలనం కలిగిస్తుంది.
భూమి ఏర్పడిన తొలి 100 కోట్ల సంవత్సరాల్లోపే సముద్రాల్లో జీవం ఉద్భవించింది. అది భూ వాతావరణాన్ని, భూ ఉపరితలాన్నీ ప్రభావితం చేసింది. దాంతో ఏరోబిక్, ఎనరోబిక్ జీవాలు తామరతంపరగా వృద్ధి చెందాయి. కొన్ని భూభౌతిక ఋజువుల ప్రకారం, 410 కోట్ల సంవత్సరాల కిందటే భూమిపై జీవం ఉద్భవించింది. అప్పటి నుండి, సూర్యుని నుండి భూమి ఉన్న దూరం, భూమి భౌతిక లక్షణాలు వగైరాలు జీవులు వృద్ధి చెందటానికి కారణమయ్యాయి.[17][18] భూమి చరిత్రలో, జీవ వైవిధ్యం దీర్ఘ కాలాల పాటు వృద్ధి చెందింది. కొన్ని సార్లు సామూహికంగా అంతరించి పోయాయి. భూమిపై జీవించిన జీవజాతుల్లో 99% వరకూ [19] అంతరించి పోయాయి.[20][21] ప్రస్తుతం ఉన్న జీవజాతుల సంఖ్యపై అంచనాలు వివిధాలుగా ఉన్నాయి;[22][23][24] చాల జాతులను ఇంకా గుర్తించలేదు.[25] 760 కోట్ల పైచిలుకు మానవులు భూమిపై నివసిస్తూ, భూమి జీవావరణంపై, దాని సహజవనరులపై ఆధారపడి ఉన్నారు.[26] మానవులు అనేక సమాజాలు, సంస్కృతులను ఏర్పరచారు. రాజకీయంగా ప్రపంచంలో 200 సార్వభౌమిక రాజ్యాలున్నాయి.
కాలగతిలో
శాస్త్రవేత్తలు భూగ్రహం ఆవిర్భావానికి సంబంధించిన విషయాలను చాలా లోతుగా అధ్యాయనం చేసారు.సౌర వ్యవస్థ 4.5672 ± 0.0006 నూరు కోట్ల సంవస్తరాల క్రితం ఆవిర్భవించింది([27] 1% శాతం అనిస్చితితో )[28][27][29][30].
విశ్వంలోని భూమి, ఇతర గ్రహాలు సౌర నీహారిక (సూర్యుడు ఆవిర్భవించినప్పుడు వలయాకారంలో ఏర్పడిన ధూళితోటి, ఇతర వాయువులతోటీ కూడిన సమూహము) నుండి ఆవిర్భవించినవి. ఈ ధూళి యొక్క సమూహము నుండి భూమి అవతరించడానికి 10–20 మిలియన్ సంవత్సరాలు పట్టింది.[31] భూమి యొక్క బాహ్య పొర మొదట్లో వేడికి కరిగి ఉండేది. తరువాత అది చల్లబడేక గట్టిపడి భూమి మీద వాతావరణంలో నీరు కూడుకున్నది. దీని తర్వాత చంద్రుడు ఆవిర్భవించాడు. భూమిలో 10% బరువుండి[32], బుధ గ్రహం అంత పెద్దగా ఉండే 'తియా' అనే ఒక ఉల్క భూమిని ఢీకొనడం[33] వలన అందులో కొంత భాగం భూమిలో కలిసి మిగతాది విశ్వంలోకి ఎగిరి పోయింది. అప్పుడు వెలువడిన పదార్ధముల నుండి చంద్రుడు ఆవిర్భవించాడు.
వాయువులు, అగ్ని పర్వతాల వల్ల మొదటగా వాతావరణం ఏర్పడింది.ఆవిరి గడ్డకట్టి దానికి ఉల్కలు,ఇతర గ్రహాలు, తోక చుక్కల నుంచి వచ్చి చేరిన మంచు, నీరూ కలిపి మహా సముద్రాలు[34] ఏర్పడ్డాయి. ఖండాల పెరుగుదలకు రెండు ముఖ్యమైన కారణాలను ప్రతిపాదించారు:[35] నేటి వరకు స్థిర పెరుగుదల, [35] భూమి ఏర్పడినప్పుడు[36] మొదట్లో ఉన్న ఆకస్మిక పెరుగుదల. ఇంత వరకు జరిగిన అధ్యయనం ప్రకారం రెండవ పద్ధతి ద్వారా ఏర్పడిన అవకాశాలు ఎక్కువగా కనబడుతున్నాయి. కొన్ని వేల లక్షల సంవత్సరాల నుండి కొంచంకొంచంగా ఖండాలు[37][38][39][40] ఏర్పడటం, ముక్కలవటం జరుగుతూ ఉంది.కొన్ని ఖండాలు ఉపరితలం మీద సంచరిస్తూ ఒక్కో సారి కలిసి పోయి మహా ఖండాలుగా రూపాంతరం చెందాయి. ఇంచుమించు 750 మిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం మనకి తెలిసిన మహా ఖండం రోడినియా ముక్కలవటం మొదలయింది. 600–540 మిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం అవి మళ్లీ కలిసి పనోషియా అనే మహా ఖండం అవతరించింది. సుమారు 180 మిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం మళ్లీ కలిసిన పాన్గే అనే మహా ఖండం ముక్కలుగా విడిపోయింది.[41]
జీవ ఆవిర్భావం
ప్రస్తుతం జీవ ఆవిర్భావానికి[42] తోడ్పడే పర్యావరణాన్ని కలిగి ఉన్నది భూగ్రహం ఒక్కటే. నాలుగు లక్షల కోట్ల సంవత్సరాల క్రితం జరిగిన ఒక శక్తిమంతమైన రసాయన చర్య వలన మొదటి పరమాణువు ఏర్పడినది. యాభై వేల కోట్ల సంవత్సరాల క్రితం జీవరాశికి అంతటికి చెందిన సామాన్యమైన జీవం వుండెడిది. జీవరాశులు కిరణజన్యుసంయోగక్రియ (ఫోటోసింథసిస్) అనే ప్రక్రియ ద్వారా సూర్యుని శక్తిని ఇనుమడించుకోవటం మొదలు పెట్టినవి. ఈ ప్రక్రియలో వెలువడిన ప్రాణ వాయువు (ఆక్సిజన్) ప్రోగయ్యి ఓజోన్ పొర (ఓజోన్ పొర అనగా పర్యావరణ ఉపరితలంలో పరమాణువు రూపంలో ఏర్పడిన ఆక్సిజన్) ఏర్పడినది (ఓజోన్). చిన్న కణాలూ పెద్ద కణాలతో కలిసి క్లిష్టమైన ఆకృతిగల యుకర్యోట్స్ [43] ఆవిర్భవించాయి. ఒక ప్రదేశంలో ఉన్న కణాలు పరిణితి చెంది బహు కణజీవులుగా రూపాంతరం చెందాయి.ఓజోన్ పొర ప్రమాదకరమైన అతినీల లోహిత కిరణాలను పీల్చుకోవటం వల్ల భూమి మీద ఉండే జీవులు వేరే ప్రదేశాలకి వలస పోతాయి.[44]
కొన్ని పెద్ద మంచు ముక్కలు 750 నుండి 580 Ma మధ్య భూమిని పూర్తిగా కప్పినట్లు 1960 లో ఉహించారు. ఈ ఉహజనిత అధ్యయనాన్ని స్నో బాల్ ఎర్త్ గ అభివర్ణించారు.దీనికి ముందు కేంబ్రిడ్జ్ ఎక్స్ప్లోషన్ సంభవించింది. ఆ ఎక్స్ప్లోషన్ అప్పుడు భాహు కణ జీవాలు ఫలోత్పదకము చెందాయని గుర్తించారు.[45]
కేంబ్రిడ్జ్ ఎక్స్ప్లోషన్ తరువాత సుమారు 535 యం.ఎలో అయిదు సార్లు వినాశనము[46] జరిగింది. ఆఖరి వినాశనము 65 యం.ఎలో ఉల్కలు ఢీకొన్నప్పుడు జరిగింది. ఆ వినాసనములో డైనోసార్లు, ఇతర సరీసృపాలూ చనిపోయాయి. క్షీరదాలు, మరికొన్ని చుంచులను పోలిన చిన్న జంతువులూ మాత్రమే బ్రతికాయి. గత 65 మిలియన్ సంవత్సరాలగా క్షేరధములలో వివిధ రకములైన విభాజనములు సంభవించినవి. కొన్ని మిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం కోతి వంటి జంతువు [47] రెండు కాళ్ళ మీద నిలబడ గల్గినది. ఇందువల్ల ఉపకరణాల వాడుక, సంభాషణల ఎదుగుదలకు అనుకూలించినవి. తద్వారా మెదడు ఎదగడానికి అవసరమైన పోషక పదార్ధాలు సమకూరాయి. వ్యవసాయం తద్వారా నాగరికతలు అభివృద్ధి చెందటం కారణంగా మానవులు భూమిని చాలా తక్కువ కాలంలోనే శాసించగలిగారు. ఇతర జీవరాశుల మీద కూడా ఆ ప్రభావం పడింది.[48]
40 Ma లో ఐస్ ఎజ్ గా పిలవబడే ఒక నమునా ఏర్పడింది. అది 3 Ma లో బలపడింది.నాటి నుంచి ధ్రువ ప్రాంతాలు 40–100,000 సంవత్సరాల కాల చక్రంలో చాలా మార్పులకు లోనయ్యింది. ఆఖరి ఐస్ ఎజ్ 10,000 సంవత్సరాల క్రితం ముగుసిపోయింది{0}[78]{/0}.
భవిష్యత్తు
భూగ్రహం యొక్క భవిష్యత్తు సూర్యుని బట్టి ఉంటుంది.సూర్యుని యొక్క మధ్య భాగంలో స్థిరముగా హీలియం కణాలూ కలిగి ఉండుటచే నక్షత్రాల యొక్క ప్రకాశం నెమ్మదిగా పెరుగుతుంది.సూర్యుని యొక్క వెలుగు, వచ్చే 1.1 బిలియన్ సంవత్సరాలలో 10 శాతం పెరుగుతుంది. ఇంకొక 40% మిగతా 3.5 బిలియన్ సంవత్సరాలలో[49] పెరుగుతుంది. భూమిని తాకే సూర్య కిరణాలు వాటి యొక్క ప్రభావాన్ని భూమిపై ఉన్న సముద్రాల మీద చూపిస్తాయి.[50]
భూమి యొక్క పై భాగంలో వేడి పెరుగుతూ ఉండటం వల్ల జీవము లేని CO2 చక్రము 900 మిలియన్ సంవత్సరాలలో, దాని యొక్క చిక్కదనం తగ్గి మొక్కలమీద (10 ppm మరియు C4 ఫోటోసిన్తసిస్) దాని ప్రభావం నాశనం చేసే స్థాయికి పెంచుతుంది. వాతావరణంలో చెట్ల శాతం తగ్గిపోవడం వల్ల ప్రాణవాయువు తగ్గిపోతోంది,దానివల్ల ఇంకొన్ని మిలియన్ సంవత్సరాల తర్వాత జంతు జాతి కనుమరుగైపోతుంది.[51] సూర్యుడు స్థిరముగా అంతము లేని వాడు అయినప్పటికీ, నిరంతరము భూమి అంతర్భాగం చల్లగా ఉండుటచే,వాతావరణంలో మరియు సముద్రాలలో చాల నష్టం జరగచ్చు.అది అగ్ని పర్వతాల వల్ల కూడా జరగవచ్చును.[52] ఇంకొన్ని బిలియన్ సంవత్సరాల తరువాత భూమి పై భాగంలో ఉండే నీరు అంతా మాయమైపోతుంది[53] దాని యొక్క వేడి 70°C[51]కు చేరుకుంటుంది. భూగ్రహం ఇంకా 500 మిలియన్ సంవత్సరాలు జీవావిర్భావానికి తోడ్పడుతుంది.[54]
సూర్యుని యొక్క ఆవిర్భావంలో భాగంగా, అది ఒక ఎర్రటి పెద్ద నక్షత్రం లాగా ఇంకో 5 Gyr లో ఏర్పడుతుంది.సూర్యుని వ్యాసార్ధం, ఇప్పటి వ్యాసార్ధం కన్నా 250 రెట్లు సాగుతుందని అంచనా.[49][55] భూమి యొక్క గతి తక్కువ నిర్మలంగా ఉంది.ఎర్రని పెద్ద నక్షత్రంగా ఉన్నప్పుడు సూర్యుడు 30% బరువును కోల్పోతాడు. కాబట్టి అలల ప్రభావం లేకుండా భూమి ఒక కక్ష్య వైపుకు పయనిస్తుంది.సూర్యుని నుంచి ఆ నక్షత్రం దాని యొక్క ఎక్కువ వ్యాసార్ధానికి చేరుకుంటుంది. భూగ్రహం బయటి ఆచ్చాదన లేనందున సూర్యుని యొక్క బయటి వాతావరణంలో సూర్యుని యొక్క కాంతి కిరణాలు పెరగటం వల్ల చాల జీవులు నాశనం అయిపోయాయి.[49] అలల ప్రభావం వల్ల భూమి యొక్క కక్ష్య క్రమక్రమంగా నశిస్తూ, ఎర్రని పెద్ద సూర్య నక్షత్రంలోకి వెళ్లి నాశనమైపోతుంది.[55]
కూర్పు, ఆకారం
భూమి టేర్రెస్త్రియల్ గ్రహం,అంటే రాతి ప్రదేశం, భూమి అంగారకుని వలె వాయు గ్రహం కాదు.భూమి మిగతా నాలుగు టేర్రెస్త్రియల్ గ్రహాల కన్నా పెద్దది, రూపం మరియు బరువులో కూడా భూమి పెద్దది. ఈ నాలుగు గ్రహాలలో, భూమికి మాత్రమే ఎక్కువ సాంద్రత, ఎక్కువ ఆకర్షణ
శక్తి,దృఢమైన అయస్కాంత కక్ష్య కలిగి వేగంగా తిరగగలదు.[56] చురుకైన ప్లేట్ టెక్తోనిక్స్ కలిగింది భూ గ్రహం మాత్రమే.[57]
రూపము
భూమి యొక్క రూపు గోళ ఆకరమునకు దగ్గరగా వుండును. ఒక గోళమును పైన కిందా అణచి, మధ్యలో సాగదీసినట్లుగా వుండును. భూ గోళము ధ్రువాల వద్ద అణచి భూమధ్యరేఖకు[58] సమాంతరంగా సాగదీసినట్లుగా వుండును.
భూమి, ధ్రువాల వద్ద వంగి ఉండటం వల్ల అది తిరిగేటప్పుడు భూ మధ్య రేఖ ప్రాంతంలో ఒక మధ్యరేఖ ఏర్పడుతుంది,అది ధ్రువాల రెండిటి మధ్యరేఖ[59] కన్నా 43 కిమీ ఎక్కువ ఏర్పడుతుంది.[59] సగటు ఉండాల్సిన మధ్యరేఖ 12,742 కిమీ, అది 40,000 కిమీలకు/π,దగ్గరగా ఉంటుంది. పారిస్ నుంచి భూమి యొక్క ఉత్తర ధ్రువానికి భూ మధ్యరేఖకు 1/10,000,000 మీటర్ల దూరం ఉంటుంది.[60]
ప్రాంతీయ స్థలవర్ణన (టోపోగ్రఫి) ఒక కచ్చిత మైన వృత్తముగా ఉండక, చిన్న చిన్న సందర్భములలో మార్పులు చెందును. భూమి యొక్క వృత్తానికి 1/584 (0.17%) వ వంతు మార్పు అనుమతించబడును.ఇది బిలియర్డ్స్ బంతికి అనుమతించే 0.22% కంటే తక్కువ.[61] అన్నిటికంటే ఎక్కువ ప్రాంతీయంగా మార్పులు ఉన్నవి మౌంట్ ఎవరస్ట్ (సముద్రమట్టం కంటే 8,848 మీటర్లు ఎత్తులో ఉన్నది) మీద, మారియానా ట్రెంచ్ (సముద్రమట్టం కంటే 10,911 మీటర్లు లోతున ఉన్నది) మధ్య రేఖ వద్ద చిన్నగా ఉండే వంపు వల్ల భూమి మధ్య నుంచి ఎక్కువ దూరం ఉండే ప్రదేశం ఈక్వ్ డార్లో ఉన్న మౌంట్ చిమ్బోరజో.[62][63]
రసాయన కూర్పు
భూమి యొక్క బరువు 5.98×1024కే.జిలకి దగ్గరగా ఉంటుంది. అది ఎక్కువగా ఇనుము {32.1%},ఆక్సిజన్ (30.1%), సిలికాన్(15.1%), మెగ్నీేషీియం (13.9%),సల్ఫర్ (2.9%), నికెల్(1.8{/4%), {5}కేల్సియం (1.5%), అల్యూమినియం(1.4%);మిగతా 1.2% ఇతర పదార్థాల నుండి ఏర్పడుతుంది. కోరు ప్రాంతమంతా ముఖ్యంగా ఇనుము(88.8%),ఇంకా కొంచం నికెల్(5.8%),సల్పర్(4.5%),తో కలిసి ఉంది. 1% కన్నా తక్కువ ట్రేస్ ఎలిమెంట్స్ ఉన్నాయి.[64]
భూగర్భ శాస్త్రవేత్త ఆఫ్.డబ్లు.క్లార్క్ 47% కన్నా కొంచం ఎక్కువగా భూమి యొక్క క్రస్ట్ లో ఆక్సిజన్ వుందని కనుగొన్నారు.సాధారణంగా భూమి క్రస్ట్ లో రాతి ప్రదేశాలన్నీ అక్సిడ్; క్లోరిన్,సల్ఫర్, ఫ్లోరిన్ తప్ప మిగతావి కనపడవు. ఎందుకంటే ఏ రాతి ప్రదేశంలోనైన ఇవి 1% కన్నా తక్కువగా వుంటాయి.సిలికా,అలుమిన,ఐరన్ అక్సిడ్, లైం,మెగ్నిషియా,పోటాష్, సోడా అనేవి ప్రధానమైన అక్సిడ్ ముఖ్యంగా సిలికా ఒక ఆమ్లంలా పనిచేయడం వల్ల సిలికేట్స్ ఏర్పడతాయి. సాధారణంగా అన్ని నిప్పు మయమయిన రాళ్ళు. మినరల్స్ ఈ రూపంలోనే వుంటాయి. క్లార్క్ లెక్క ప్రకారం 1,672 అద్యయనలలో తేలింది ఏమిటంటే రాళ్ళలో 99.22% వరకు 11 వివిధ అక్సైడ్లు ఉన్నాయి.(కుడివైపున వున్న పట్టిక చూడుము) మిగతావి చాల తక్కువ మోతాదుల్లో ఏర్పడతాయి.[note 3]
అంతర్భాగం
భూమి యొక్క అంతర్భాగం ఇతర భౌగోలిక గ్రహాల వలె వాటి రసాయన లేదా భౌతిక లక్షణాలను బట్టి పొరలు క్రింద ఏర్పడినవి. భూమి యొక్క భాహ్య పొర ఇసుక రాయితో(సిలికేట్)ఏర్పడింది.దాని క్రింద భాగములో చిక్కటి ఘన పదార్థం వ్యాపించి ఉంది. గట్టి పడిన భూమి భాహ్య పొరకి, ఈ ఘన పదార్ధానికి మధ్య ఉండే ప్రదేశాన్ని 'మొరోవికిక్ డిస్కన్టిన్యుటి' అంటారు.ఈ గట్టితనం యొక్క మందం మహా సముద్రాల క్రింద 6 కిలో మీటర్లు ఖండాల క్రింద 30-50 కిలో మీటర్లు ఉండును.ఈ భాహ్య పొరని, ఘన ఉపరితలాన్నీ కలిపి 'లితోస్పియర్' అంటారు. ఈ లితోస్పియర్ టెక్టోనిక్ ప్లేట్లులో ఉండును. ఈ లితోస్పియర్ కింద కొంచం తక్కువ ఘనీభవించి ఉండే పోరని 'అస్తినోస్పియర్' అంటారు.దీనిపైన లితోస్పియర్ కదులుతూ ఉంటుంది. ఘన పదార్థంలో ఉండే స్పటిక నిర్మాణాలలో 410 నుంచి 660 కిలో మీటర్ల దిగువన కొన్ని మార్పులు ఉండును.ఇవి ఈ ఘనపదార్థం యొక్క పై భాగమును క్రింద భాగమును ఈ మార్పుల వల్ల విడదీయ బడును.ఆ క్రింది భాగమును దాటాక చాల పలుచని ద్రవ పదార్ధము ఉంది. దీని లోపల[65] ఘనీభవించిన గుల్ల పదార్ధము భూ గ్రహం కంటే సంవత్సరానికి 0.1 నుంచి 0.5 డిగ్రీల వేగముతో తిరుగును.[66]
వేడి
భూమి అంతర్భాగంలో ఉన్న వేడిలో 20% మిగిలిన గ్రహాల వలన,మిగతా 80% క్షకిరణ విసర్జనము(రేడియో ఆక్టివ్ డికే) వలన వచ్చును. భూమి మీద వేడిని పుట్టించు క్షార ధాతువు (ఇసొటోపు) ప్రధానమైనవి పొటాసియం-40, యురేనియం-238, యురేనియం -235, మరియు థోరియం-232.[69] భూమి మధ్యలో శీతోష్ణ స్థితి(టెంపరేచర్)7000 K వరకు ఉంటుంది,మరియు దాని యొక్క ఒత్తిడి 360 జిపిఏ.[70] చాల మటుకు వేడి రేడియో ఆక్టివ్ డికే వలన వచ్చునందున, శాస్త్రవేత్తలు అంచనా ప్రకారం భూగ్రహం మొదట్లో ఇసొటోపులు ఎక్కువగా ఉండేటప్పుడు ఉష్ణోగ్రత ఇంకా ఎక్కువ ఉండేది.3 బిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం ఉత్పత్తి అయిన వేడి,నేటి వేడికి రెండు రెట్లు ఉండేది.[71] ఈ వేడి ఉష్ణోగ్రతను పెంచడం వలన భూమ్మీద టెక్టోనిక్ ప్లేట్లు ఎక్కువయ్యి అగ్ని మయమైన రాళ్లు(కోమటైట్స్) ఏర్పడేవి.నేడు ఉష్ణోగ్రత తగ్గటం వల్ల అవి ఏర్పడటం లేదు.[72]
భూమి బయటకి వెళ్ళే మొత్తం వేడి 4.2 × 1013 Watts.[74] భూమి యొక్క కోర్ నుండి కొంత శాతం వేడి మాంటిల్ ప్లుమ్స్(ఎక్కువ ఉష్ణోగ్రత కలిగిన రాళ్ళు)ద్వారా క్రస్ట్ కి చేరుకొనును.ఈ ప్లుమ్స్ వేడి ప్రదేశాల్ని మరియు పలు ధాతు ప్రవాహాల్ని కలిగించును.[75]
చాల శాతం వేడి భూమి నుంచి టెక్టోనిక్ ప్లేట్ల వద్ద, మహా సముద్రాల మధ్య ఉండే రిడ్జెస్ ద్వారా బయటకి పోవును.మహా సముద్రాలలో క్రస్ట్ ఖండముల వద్ద కంటే పలుచగా ఉండటం వలన అత్యధిక శాతం వేడి లితోస్పియర్ నుంచి వాహకముగా బయటకి పోవున.[74]
టెక్టోనిక్ ప్లేట్లు
భూమి యొక్క కఠినమైన భాహ్య పొర లితోస్పెయర్,రెండు భాగాలుగా విరిగినది,వాటిని టెక్టోనిక్ ప్లేట్లు అని అంటారు. ఈ ప్లేట్లు కఠినమైనవి,అవి ఒక దానితో మరొకటి జతగా కదులుతాయి.ఇవి మూడు భాగాలుగా విభజించారు:
కన్వర్జంట్ బౌండరీ, ఇక్కడ రెండు ప్లేట్లు ఒకే సరి వస్తాయి.
డైవర్జంట్ బౌండరీ, ఇక్కడ రెండు ప్లేట్లు వేరు వేరు వైపులా వుంటాయి.
ట్రాన్స్ ఫాం బౌండరీ,ఇక్కడ రెండు ప్లేట్లు ప్రక్క ప్రక్కన ఉంటాయి. భూకంపాలు,అగ్నిపర్వతం బ్రద్దలవటం,పర్వతాలు విరిగి పడటం,సముద్రం పొంగటం లాంటివి ఈ ప్లేట్ల వల్ల జరుగుతుంది.[77]
టెక్టోనిక్ ప్లేట్లు అస్తనోస్పెయర్ పైన ఉంటాయి.ఘన పదార్దం-కొంచం చిక్కగా ఉండే మాంటిల్ పైన ఉంటూ ఈ ప్లేట్లతో కదులుతూ ఉంటుంది.[78]
వాటి యొక్క కదలిక మాంటిల్ లోపలి ప్రవాహపు నమూనాలతో కలగలిపి ఉంటుంది.
ఈ టెక్టోనిక్ ప్లేట్లు గ్రహం అంతట సంచరిస్తునప్పుడు మహా సముద్ర ఉపరితలం ప్లేట్ల చివరి భాగంలో కలుస్తూ ఉంటుంది.అదే సమయంలో, మాంటిల్ యొక్క పదార్థములు పైకి ఎగదన్నటంతో మహా సముద్రంలో రిడ్జెస్ యేర్పడును.ఈ రెండు పనులు ఒకే సరి జరగడం వల్ల ఒషనిక్ క్రస్ట్, మాంటిల్ గా మారిపోతుంది.ఈ విధానం మళ్లీ మళ్లీ చేయడం వల్ల చాల వరకు సముద్రపు నేల 100 మిలియన్ సంవత్సరాలు వయసు తక్కువవుతుంది.అన్నిటికన్నా పాత సముద్రపు క్రస్ట్ పడమర పసిఫిక్ సముద్రం వద్ద ఉంది.దీని వయసు 200 మిలియన్ సంవత్సరాలు.[79]{[181{1}] పోల్చిచూడటం వల్ల,అత్యంత పాత కాన్టినన్టాల్ క్రస్ట్ 4030 మిలియన్ సంవత్సరాల నాటిది.[80]
మిగతా ప్లేట్లు ఇండియన్ ప్లేట్,అరబియన్ ప్లేట్,కారిబెయన్ ప్లేట్,నజ్కా ప్లేట్ దక్షిణ అమెరికాకి చెందినపడమర కోస్ట్, స్కాటియా ప్లేట్ దక్షిణ అట్లాంటిక్ సముద్రానికి చెందినది.ఆస్ట్రేలియన్ ప్లేట్ ఇండియన్ ప్లేట్ తో 50 నుండి 55 మిలియన్ సంవత్సరాల మధ్య కలిసి ఉంది.ఒషనిక్ ప్లేట్లు వేగంగా కదిలే ప్లేట్లు,ఇవి కాకస్ ప్లేట్, పసిఫిక్ ప్లేట్ తో కలిసి కదులుతాయి.కాకస్ ప్లేట్ యొక్క రేట్ 75mm/yr[81].పసిఫిక్ ప్లేట్ యొక్క రేట్ 52-69mm/yr. అత్యంత నెమ్మదిగా పయనించే ప్లేట్ యురసియన్ ప్లేట్,దీని యొక్క రేట్ 21mm/yr కానన్న ఎక్కువ ఉంటుంది.[82]
ఉపరితలం
భూమి ఉపరితలం ప్రదేశాలను బట్టి మారుతూ వుంటుంది.భూమి ఉపరితలం 70.8% [83] కన్నా ఎక్కువ నీటితో నిండి వుంది,చాల మటుకు ఖండ ప్రదేశములు సముద్ర నీటి మట్టం క్రింద ఉన్నాయి. మునిగి ఉన్న ప్రదేశాలలో పర్వత శ్రేణులు[59] గోళమంతా విస్తరించి ఉన్న సముద్రపు గట్లు ఇంకా సముద్రాలలో ఉన్న అగ్ని పర్వతాలు,కాలువలు,లోయ ప్రవాహములు,సముద్రపు మైదానములు, పాతాళ ప్రదేశములు కూడా ఉన్నాయి. మిగతా 29.2% ఏదైతే నీటితో నిండకుండా పొడిగా వుందో,అది పర్వతాలతో,ఎడారులతో,ప్లేట్యులతో,మాములు నేలతో మటియు ఇతర పదార్థాలతో నిండి ఉంది.
గ్రహాల యొక్క పైభాగంలో,వాటి యొక్క రూపాలలో మార్పులు వస్తాయి, భూగర్భ కాల పరిమితి ప్రకారం టెక్టోనిక్స్ ఎరోషన్ వల్ల ఇలా జరుగుతుంది.ఉపరితలం మీద టెక్టోనిక్ ప్లేట్లు కాల క్రమేణా వాతావరణమునకు, ఉష్ణ చక్రాలకు రసాయన చర్యలకు మార్పులు చెందినది. మంచు ముక్కలు, సముద్రపు ఒడ్డున నేల,నీటిలో మునిగి ఉండు రాతి గట్లు, ఉల్కల తాకిడి [84] వంటి కారణాల వల్ల భూమి ఉపరితలం రూపాంతరం చెందింది.
ఖండముల మెడ నేల సాంద్రత తక్కువగా కలిగిన అగ్నిమయమైన రాళ్ళు, నల్ల రాయి(గ్రానైట్) మరియు యాండసైట్ మొదలైన పదార్దములు కలిగి ఉంది.తక్కువ మోతాదులో దొరికేది బసల్ట్,అధిక సాంద్రత కలిగిన అగ్నిమయమైన రాయి(ఇది సముద్ర నేలలో ముఖ్యంగా దొరుకును).[85]
నీటిలో అడుగున చేరిన మట్టి(సెడిమెంట్) గట్టిపడి సెడిమెంటరి రాయి యేర్పడును.75% ఖండాల యొక్క పైభాగం సేదిమెంతరి రాళ్లతో కప్పబడి ఉంది,అవి కేవలం 5% క్రస్ట్ ని మాత్రమే ఏర్పడేలా చేస్తాయి.[86] మూడవ రకం రాళ్లని మేతమోర్ఫిక్ రాళ్ళు అని అంటారు.ఇవి ఇంతకు ముందు చెప్పిన రాళ్ళను ఎక్కువ ప్రెషర్,లేదా ఎక్కువ వేడిని లేదా రెండిటి వల్ల కలిగిన మార్పుల వల్ల ఏర్పడతాయి భూమిమీద దొరికే తక్కువ సిలికేట్ మినరల్స్ ఏమిటంటే క్వార్ట్జ్,ఫెల్ద్స్పర్,అమ్ఫిబోల్,మైకా,ఫైరోక్షిన్ మరియు అలివిన్.[87] ఎక్కువగా దొరికే కార్బన్ మినరల్స్ ఏమిటంటే కాల్సిట్,ఇది లైంస్టోన్ లో ఎక్కువ దొరుకుతుంది.అరగోనిట్ మరియు దోలోమిట్.[88]
పెదోస్పెయర్, భూమి యొక్క భాహ్యపోర,అది మొత్తం మట్టితో కప్పబడి ఉంటుంది,ఇది మట్టి ఏర్పడానికి తోడ్పడుతుంది.ఇది లితో స్పెయర్,అత్మోస్పేయర్,హైడ్రో స్పెయర్ మరియు బయో స్పెయర్ వద్ద కలయికగా ఏర్పడుతుంది.ప్రస్తుతం మొత్తం లభించే నేల 13.31%.ఇందులో 4.71% నెలలో మాత్రమే పంటలు పండుతాయి.[6] భూమ్మీద ఉన్న నెలలో 40% పచ్చిక,పంటలు పండించుటకు ఉపయోగించుచున్నారు.(సుమారు 1.3 చదరపు కిలో మీటర్ల నేల పంట పొలాలకు 3.4 చదరపు కిలో మీటర్ల నేల పచ్చిక బయళ్ళకు ఉపయోగిస్తున్నారు).[89]
భూమి ఉపరితలము యొక్క ఎత్తు కనిష్ఠముగా డెడ్ సి వద్ద -418 మీటర్లు, గరిష్ఠముగా మౌంట్ ఎవరస్ట్ వద్ద 8,848 మీటర్లు ఉంది. భూమి ఉపరితలం యొక్క సామాన్యమైన ఎత్తు 840 మీటర్లు.[90]
జలావరణం
భూ గ్రహంపైన మాత్రమే నీరు ఉంది,అందుకే దానిని "నీలి గ్రహం"అని అంటారు.మిగతా ఏ గ్రహాల పైన నీరు లేదు.భూమి యొక్క జలావరణం ఎక్కువ సముద్రాలతో ఉంది.ఇది అన్ని నీటి ప్రదేశాలను కలిగి ఉంది,ఉదాహరణకు సముద్రాలూ,నదులు కాలువలు,మరియు భూమి లోపలి నీటిని 2,000 మీ అడుగులో కలిగి ఉంది.నీటిలో అత్యంత లోతైన ప్రదేశం పసిఫిక్ మహా సముద్రంలో ఉన్న ఛాలెంజర్ డీప్ ఆఫ్ మారియానా ట్రెంచ్. దీని లోతు −10,911.4 మీటర్లు.[note 7][91] మహా సముద్రాల సగటు లోతు 3,800 మీటర్లు. ఇది భూమ్మీద ఉన్న ఖండాల సగటు ఎత్తు కన్నా నలుగు రెట్లు ఎక్కువ.[90]
మహా సముద్రం యొక్క బరువు 1.35 మెట్రిక్ టన్ వరకు ఉండచ్చు,అది మొత్తం భూమి యొక్క బరువులో 1/4400 వ వంతు ఉండును.మహా సముద్రముల యొక్క పరిమాణము 1.386 కిమీ3 ఉంటుంది. భూమిపై ఉన్న పొడి ప్రదేశం అంత పరిచి చూస్తే,నీరు 2.7 కిమీ కన్నా ఎక్కువ వుంటుంది.[note 8] 97.5% కన్నా ఎక్కువ నీరు ఉప్పగా ఉంది. మిగతా 2.5% నీరు మాత్రమే తాగడానికి వీలుగా ఉంది. 68.7% కన్నా ఎక్కువ తాగే నీరు ప్రస్తుతం ఐస్ రూపంలో ఉంది.[92]
సముద్రపు నీటిలో ఉప్పు బరువు సుమారు 3.5% ఉంటుంది.చాల మటుకు ఉప్పు అగ్ని పర్వతాల చర్యల వల్ల లేదా అగ్ని మయమైన రాళ్ల [93] నుండి విడుదలవును. మహా సముద్రాలు వాతావరణంలో ఉండే వాయువులను ద్రవ రూపములో కలిగి ఉండును. దీని వల్లే చాల జీవ రాసులు[94] సముద్రంలో జీవించ గలుగుతున్నాయి. సముద్రపు నీటి ప్రభావం ప్రపంచ వాతావరణం మీద చాల ఎక్కువ ఉంటుంది.
మహా సముద్రాలు వేడిని జలాశయములవలె దాచుకోనును.[95]
మహా సముద్రములో ఉష్ణోగ్రత వలన వాతావరణంలో ఎల్నినో-సౌతేర్న్ ఆసిలేషన్{1}[229]{/1} వంటి పెను మార్పులు సంభవించును.
వాతావరణం
భూమిపై వున్న వాతావరణ 101.325 కిలో పాస్కల్ ఒత్తిడి మరియు 8.5 కిలో మీటర్ల[7] ఎత్తు ఉండును. వాతావరణంలో 78% నత్రజని, 21% ప్రాణ వాయువు ఇంకా చిన్న మోతాదుల్లో ఆవిరి, కార్బన్ డియక్సైడ్, మరియు ఇతర వాయువులు ఉన్నాయి. త్రోపోస్పియర్ యొక్క ఎత్తు ధ్రువముల దగ్గర 8 కిలో మీటర్లు, భూమధ్య రేఖ వద్ద 17 కిలో మీటర్లు ఉండును. అక్కడక్కడ కలముల వల్ల,వాయుస్థితి వల్ల మారును.[96]
భూమి యొక్క జివవరణం వాతావరాన్ని మార్చింది.ప్రాణ వాయువు ఆధారంగా జరిగే కిరణ జన్యు సంయోగ క్రియ 2.7 బిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం మొదలయింది.దీని వల్ల నత్రజని,ప్రనవయువుతో కూడిన వాతావరణం ఏర్పడటం మొదలయింది.ఈ మార్పు వలన ప్రనవయువుతో వృద్దియగు జీవులు ఆవిర్భవించాయి మరియు ఓజోన్ పొర ఏర్పడినది. ఈ ఓజోన్ పొర మరియు భూమి యొక్క అయస్కాంత క్షేత్రం కలిపి అతి నీల లోహిత కిరణాలను అడ్డుకుని జీవవిర్భావానికి తోడ్పడినవి.వాతావరణానికి సంబందించిన ఇతర ప్రక్రియలలో ముఖ్యమైనవి ఆవిరిని రవాణా చేయుట, ఉపయోగ కరమైన వాయువులను అందుబాటులో ఉంచడం, తద్వారా చిన్న చిన్న ఉల్కలు భూమిని తాకక ముందే వాతావరణంలో మండిపోవుట మరియు ఉష్ణోగ్రతను తగు మాత్రలలో ఉంచడం.[97] ఈ ఆఖరి ప్రక్రియని గ్రీన్ హౌస్ అఫెక్ట్ అని అంటారు: వాతావరణంలో ఉన్న పరమాణువులు భూమిలో ఉన్న ఉష్ణ శక్తిని గ్రహించి వాతావరణ ఉష్ణోగ్రతను పెంచును.వాతావరణంలో ఆవిరి, కార్బన్ డియక్సైడ్,మీథేన్,ఓజోన్ అనేవి గ్రీన్ హౌస్ వాయువులు అని అంటారు.ఈ విధంగా వేడిని గ్రహించి ఉంచక పోతే వాతావరణంలో ఉష్ణోగ్రత −18°C వద్దకు తగ్గి జీవము ఉండకపోయేది.[83]
వాయుస్థితి మరియు శీతోష్ణ స్థితి
భూమి యొక్క వాతావరణానికి ఒక నిషిద్దమైన సరిహద్దు లేదు. ఎత్తుకు వెళ్లేకొద్ది అది పల్చబడుతూ విశ్వంలోకి వెళ్ళేటప్పటికి వాతావరణం నశించిపోతుంది .వాతావరణం యొక్క బరువులో సుమారు మూడు వంతులు మొదటి 11 కిమీ లోనే వ్యాపించి ఉంటుంది.ఈ పల్చటి పోరని ట్రోపోస్పియర్ అని అంటారు.సౌర శక్తి ఈ పోరని వేడి చేస్తుంది.ఆ వేడికి ఈ పొర క్రింద గాలి వ్యాప్తి చెందుతుంది.దీనివల్ల తక్కువ సాంద్రత కలిగిన గాలి,ఎక్కువ సాంద్రత కలిగిన చల్లటి గాలితో మార్చబడుతుంది.దీని వల్ల వాతావరణంలో కదలికలు ఏర్పడి వాయుస్థితి, శీతోష్ణ స్థితిని మార్చును.[98]
వాతావరణంలో భూ మధ్య రేఖ వద్ద 30° అక్షరేఖ (లాటిట్యుడ్) క్రింది ప్రాంతమంతా 'ట్రేడ్ విండ్స్' మరియు 30° -60° అక్షరేఖల మధ్య ప్రాంతం పడమటి గాలులు వీచును.
[99] మహా సముద్రాల గాలులు కూడా వాతావరణాన్ని నిర్దేశిస్తాయి. ముఖ్యంగా థర్మోహలిన్ సర్కులేషన్ అనే ప్రక్రియ ద్వారా వాతావరణంలో వాడి భూ మధ్యరేఖ నుండి ధ్రువలకు చేరును.[100]
భూమి ఉపరితలం మీద వ్యాప్తి చెందిన నీటి ఆవిరి వాతావరణంలోకి ఒక క్రమ పద్ధతిలో రవాణా అవుతుంది.
వాతావరణ స్థితి వేడి గాలిని లేదా వెచ్చదనాన్ని పెరిగేలా చేసినప్పుడు ఆవిరి గడ్డకట్టి నీరుగా మారుతుంది.[98] చాల శాతం నీటిని నదులు తిరిగి సముద్రాల్లోకి చేరవేస్తాయి.ఈ నీటి చక్రం అనేది భూమి మీద జీవులు బ్రతకడానికి చాల ముఖ్యమైన ప్రక్రియ. దీని వల్లే భూమి ఉపరితలం మీద ఉన్న మట్టి కొట్టుకు పోయి క్రమేపి మార్పులు వస్తాయి.నీరు క్రిందకి చేరుకునే ప్రక్రియ ఒక్కొక్కప్పుడు ఒక్కోలా మారుతుంది. కొన్ని సార్లు కొన్ని మీటర్ల లోతున, మరికొన్ని సార్లు మిల్లి మీటర్ల లోతున నీరు తేరుకుంటుంది. వాతావరణంలో మార్పులు,వాతావరణంలో వేడి పెరిగి తగ్గటం, వీటి వల్ల సగటున వాతావరణంలో మిగిలిన పదార్థాలు ప్రతి ప్రాంతంలో ఎక్కడెక్కడ పడతాయో చెప్పచ్చు.[101]
భూమి చాల వెడల్పులో చాల రకాలుగా విభజించవచ్చు. భూమధ్యరేఖ నుంచి పోలార్ రీజియన్ వరకు,ఇవి ట్రోపికల్,సబ్ట్రోపికల్,టెంపరేచర్ మరియు పోలార్ క్లేమాట్స్.[102] వాతావరణం అనేది వేడిని మరియు మిగిలిన పదార్ధాల బట్టి విభజించబడింది.మనం మామూలుగా ఉపయోగించు కొప్పెన్ క్లైమాట్ క్లాసిఫికేషన్ సిస్టం(వ్లద్మిర్ కొప్పెన్ యొక్క స్టూడెంట్ రుడోల్ఫ్ గైగర్ క్రింద మార్చబడింది) అయిదు విధాలుగా విభజించ బడింది.(హుమిడ్ ట్రాపిక్,అరిడ్,హుమిడ్ మిడిల్ లాటిట్యుడ్స్,కాంటినెంటల్ మరియు కోల్డ్ పోలార్)అవి ఇంకొన్ని భాగాలుగా విభజించ బడ్డాయి.[99]
వాతావరణం పై భాగం
ట్రోపోస్పెయర్ పైన,వాతావరణం మూడు విధాలుగా విభజించబడింది.అవి స్ట్రాటోస్పెయర్,మేసోస్పెయర్ మరియు తెర్మోస్పెయర్.[97] ప్రతి పొరకి గమనంలో వివిధ రకాల తేడాలుంటాయి,వాటి యొక్క ఎత్తును బట్టి ఉష్ణోగ్రతలో మార్పులు వుంటాయి. ఇవి కాకుండా, ఎక్సోస్పెయర్ పల్చబడి మగ్నేటోస్పెయర్ కింద మారుతుంది.ఈ మగ్నేటోస్పెయర్ లో భూమి యొక్క అయస్కాంత క్షేత్రం సౌర పవనాలతో [103] కలుస్తుంది. వాతావరణంలో ఉండే ఓజోన్ పొర జీవకోటికి చాలా ముఖ్యమైనది. ఇది స్ట్రాటోస్పెయర్ లో ఉంటూ సూర్యుని నుంచి వెలువడే అతి నీల లోహిత కిరణాలను అడ్డుకుంటుంది.కర్మన్ గీత, ఏదైతే భూమికి 100 కిమీ పైన వుందో అది వాతావరణానికి విశ్వానికి[104] మధ్య సరిహద్దు గీతలా ఉంది.
థర్మల్ శక్తి వల్ల,భూమి యొక్క వాతావరణంలో వున్న కొన్ని పరిమనువులు వాటి యొక్క శక్తిని పెంచుకుని,గ్రహం యొక్క ఆకర్షణ శక్తి నుంచి బయటికి వెళ్ళడానికి ప్రయత్నిస్తాయి.దీనివల్ల నిమ్మదిగా మరియు స్థిరముగా వాతావరణం విశ్వంలోకి తప్పించుకుని వెళ్లిపోతుంది నిశ్చలములేని హైడ్రోజెన్ కు తక్కువ పరిమాణ బరువుంటుంది,అది మిగతా వాయువుల కన్నా బయట వాతావరణంలోకి తొందరగా వెళ్ళిపోతుంది.[105] హైడ్రోజెన్ విశ్వంలోకి వెళ్ళిపోవటం వల్ల భూమి తగ్గిపోయే స్థితి నుంచి భస్మము చేసే స్థితికి చేరుకుంటుంది. కిరనజన్యుసంయోగక్రియ(ఫోటోసైన్తేసిస్) వల్ల ఆక్సిజన్ ఉత్పత్తి అవుతుంది.కానీ హైడ్రోజెన్ వెళ్ళిపోవడం అనేది అవసరమైన చర్య కాబట్టి ఆక్సిజన్ తొందరగా వాతావరణంలోకి వెళ్ళిపోతుంది.[106]
భూమి యొక్క వాతావరణంలోకి హైడ్రోజెన్ వెళ్ళిపోవటం వల్ల జీవులు భూమ్మీద నివసించడం అనేది వృద్ది చెందింది.[107] ప్రస్తుతం,ఆక్సిజన్ ఎక్కువున్న వాతావరణంలో హైడ్రోజెన్ గాలిలో కలవక ముందే నీటి క్రింద మారుస్తున్నారు.భూమి యొక్క ఉపరితలంలో మీథన్ వాయువు ధ్వంసం అగుటవలన చాల శాతం హైడ్రోజెన్ నీటి క్రింద మార్చబడుతోంది.[108]
అయస్కాంత కక్ష్య
భూమి యొక్క అయస్కాంత క్షేత్రం రెండు ధ్రువములు కల అయస్కాంత క్షేత్రం వలె వుండును (ఆ అయస్కాంత ధ్రువాలు భూమి యొక్క ధ్రువాలకి దగ్గరగా ఉన్నప్పుడు). డైనమో థియరీ ప్రకారం ఆ క్షేత్రం కరిగిన బాహ్య పొర లోని వేడి వలన వచ్చే కదలికల వలన ఏర్పడిన విద్యుత్ ప్రవాహం వలన ఏర్పడినది. ఆ పొరలో కదలికలు చిందర వందరగా ఉండును మరియు అప్పుడప్పుడు సమ రేఖను మార్చును. దీని వలన క్షేత్రము ప్రతి పది లక్షల సంవత్సరాలలో కొన్ని సార్లు తారు మారు అవును. నేటికి 700,000 సంవత్సరాల క్రితం ఒకసారి ఈ క్షేత్రము తిరగబడింది[109][110].
ఈ క్షేత్రము వలన మాగ్నటోస్పియర్ ఏర్పడినది. అది గాలిలో పదార్ధాల గతిని మారుస్తుంది.బౌ షాక్ యొక్క సున్వార్డ్ వంపు భూమి యొక్క వ్యాసార్ధం కన్నా13 రెట్లు ఎక్కువగా ఉండే ప్రదేశంలో ఉంది.గాలి మరియు అయస్కాంత క్షేత్రం గుద్దుకోవడం వల్ల వాన్ అల్లెన్ రేడియేషన్ బెల్ట్స్ ఏర్పడతాయి,టోరస్ రూపులో,ఒకే మధ్య రేఖతో శక్తి ఉన్న పదార్థాలు భూమి యొక్క వాతావరణంలోకి ప్లాస్మా ప్రవేశించినప్పుడు అయస్కాంత ధ్రువాల వద్ద అరోరా ఏర్పడుతుంది.[111]
గ్రహ మార్గము మరియు భ్రమణము
భ్రమణము
భూమి తన చుట్టూ తను తిరగటానికి పట్టే కాలము 86,400 సౌర సెకనులు.ఇది ఒక సెకను కంటే కొంచము ఎక్కువ,ఎందుకంటే ఇప్పుడు భూమి యొక్క రోజు 19 వ శతాబ్దములో ఒక రోజు కంటే కొంచము ఎక్కువ(అలల యొక్క గతి వృద్ది [యక్సిలరేషన్] వలన).[112]
స్థిరమైన నక్షత్రాలతో పోలిస్తే భూమి తన చుట్టూ తను తిరిగే కాలాన్ని 'స్టేల్లార్ డే' గా ఇంటర్నేషనల్ యర్త్ రోటేషన్ అండ్ రేఫరంస్ సిస్టమ్స్ సర్విస్(ఐ.ఈ.ఆర్.యస్)23h 56m 4.098903691s. [113][note 9] పేర్కొన్నది. భూమి తన చుట్టూ తాను తిరిగే కాలమును వెర్నల్ ఈక్వినక్స్ కదలికతో తప్పుగా పోల్చి ఒక సైడ్రియల్ డేగా అభివర్ణించారు.[113] అందువలన ఒక సైడ్రియల్ డే స్టేల్లార్ డే కంటే 8.4 మిల్లి సెకన్లు తక్కువగా ఉండును.ఒక సౌర రోజు(సోలార్ డే)పట్టే కాలము యస్.ఐ.సిస్టం సెకనుల్లో ఐ.ఈ.ఆర్.యస్ వారు 1623–2005[114] మరియు 1962–2005.[115] మధ్య కాలమునకు అందించారు.
విశ్వంలో తిరుగుతూ ఉండే పదార్థాలు(ఉల్కలు,ఉపగ్రహాలు తప్ప) ఆకాశంలో పడమట దిశగా గంటకు 15° వేగముతో ప్రయాణించు నట్టు కనిపించును. ఇది సూర్యుని లేదా చంద్రుని వ్యాసమును రెండు నిముషాలలో దాటు వేగమునకు సమానము. (సూర్యుని, చంద్రుని యొక్క వ్యాసములు భూమి పై నుండి సమానముగా అగుపడును)[116][117].
గ్రహ మార్గము
భూ గ్రహ మార్గమునకు సూర్యునికి వున్న దూరము 150 మిలియన్ కిలోమీటర్లు వరకు వుంటుంది.భూ సూర్యుని చుట్టూ తిరగటానికి 365.2564 రోజులు పడుతుంది,దానినే ఒక సంవత్సరము,లేదా సైడ్రియల్ సంవత్సరంఅని అంటారు.దీనివల్ల భూమి మీద నుంచి చుసిన వారికి సూర్యుడు ప్రతి రోజు ఒక డిగ్రీ కదిలి నట్టు కనిపించును.ప్రతి 12 గంటలు ఇటు నుంచి అటు ప్రయాణించి నట్టు కనిపించును.ఈ కదలిక వల్ల ఒక రోజుకి 24 గంటల సమయం పట్టును.ఈ సమయంలో భూమి తన చుట్టూ తను ఒక్క సారి తిరుగును(పరిభ్రమణం) మరియు సూర్యుడు మళ్లీ తూర్పున ఉదయించును(ఉత్క్రుష్ట్ట రేఖను మధ్యాన్నం చేరుకొనును).భూమి కక్ష యొక్క వేగము సెకనుకు 30 కిలోమీటర్లు.ఈ వేగముతో భూమి తన మధ్య రేఖను 7 నిమిషాలలో మరియు చంద్రుని దూరము 4 గంటలలో చేరుకోనగలదు.[7]
చంద్రుడు భూమి చుట్టూ తిరగటానికి 27.32 రోజుల కాలం పడుతుంది.భూమి మరియు చంద్రుడు సూర్యుని చుట్టూ తిరిగే కాలమును పరిగణనలోకి తీసుకుంటే అమావాస్య నుంచి అమావాస్యకి 29.53 రోజుల కాలం పడుతుంది,దీనినే ఒక నెల అంటారు. ఉత్తర ధ్రువం నుంచి చూసినప్పుడు భూమి చంద్రుడు వారి కక్ష్యలలో అప్రదక్షిణ దిశలో(యాంటిక్లాక్ వైస్)తిరుగును. ఉత్తర ధ్రువానికిపైన విశ్వంలోనించి చూసిన యడల భూమి సూర్యుని చుట్టూ అప్రదక్షిణ దిశలో(యాంటిక్లాక్ వైస్)తిరుగును. గ్రహ మార్గం మరియు కక్ష్య రేఖలు కచ్చితమైన సమ రేఖలో ఉండవు. భూకక్ష్య, భూమి సూర్యుల సమతల లంబరేఖకు 23.5 డిగ్రీల వంపుతో ఉండును. ఈ వంపు లేకపోతే,ప్రతి రెండు వారాలకు ఒక గ్రహణం ఏర్పడి ఉండేది(ఒక సూర్య గ్రహణం, ఒక చంద్ర గ్రహణం)[7][118]
భూమి యొక్క గురుత్వాకర్షణ శక్తి గోళా కారములో 1,500,000 కిలోమీటర్ల వ్యాసార్ధం కలిగి ఉండును.[119][note 10] ఈ దూరమున భూమి యొక్క గురుత్వాకర్షణ శక్తి సూర్యుడు మరియు ఇతర గ్రహాల కంటే ఎక్కువ ఉండును. పదార్థములు ఈ వ్యాసార్ధంలో మాత్రమే సంచరించవలెను.అంత కంటే దూరమైనచో అవి సూర్యుని గురుత్వాకర్షణ శక్తికి లోబడును.
భూమి మరియు ఇతర సౌర వ్యవస్థ పాలపుంతలో(మిల్కి వే)ఉన్నవి. ఈ పాలపుంత నక్షత్ర వీధి (గెలాక్సీ)మధ్య నుంచి 28,000 కాంతి సంవత్సరాల దూరం ఉండే కక్ష్యలో పరిభ్రమించును. ప్రస్తుతం పాలపుంత నక్షత్ర వీధి మధ్య రేఖకు 20కాంతి సంవత్సరాల దూరంలో ఓరియన్లో ఉంది.[120]
కక్ష్య వంపు మరియు కాలములు
భూమి యొక్క కక్ష కొంచం వంగి ఉండడం వల్ల, ఒక ప్రదేశానికి చేరే సూర్య కిరణాలు సంవత్సరమంతా మారుతుంది.దీని వల్ల కాలాలు మారతాయి. ఉత్తర ధ్రువం సూర్యుని వైపు ఉన్నప్పుడు ఉత్తర భూభాగంలో వేసవి కలం ఏర్పడుతుంది.అదే ఉత్తర ధ్రువం సూర్యునికి అవతలి వైపు ఉన్నప్పుడు చలి కాలం ఏర్పడుతుంది.వేసవి కాలంలో పగలు ఎక్కువసేపు ఉంటుంది మరియు సూర్యుడు ఆకాసంలో చాలా పైకి వెళ్తాడు.చలి కాలంలో, వాతావరణం చల్లగా అవటం వల్ల రోజులు చిన్నవి అవుతాయి.ఆర్కిటిక్ సిర్కిల్ వద్ద సంవత్సరంలో ఒక భాగం వరకు పగలు అసలు వెలుగు ఉండదు. దీనిని ఒక పోలార్ నయిట్ అంటారు.దక్షిణ భాగంలో,ఈ పరిస్థితి అంతా తారుమారవుతుంది. దక్షిణ ధ్రువం ఉత్తర ధ్రువానికి వ్యతిరేకంగా ఉంటుంది.
అస్త్రోనోమికాల్ లోక సమ్మతి ప్రకారం, ఎక్కువ వంగి ఉన్న భూ కక్ష్య సూర్యుడి వైపు లేదా అవతలి వైపుకు ఉండటం మరియు కాంతి పాతము, సూర్యుని యొక్క దిక్కు మరియు కక్ష్య యొక్క వంపు,రెండు లంబంగా ఉండటం.చలి కాలం డిసెంబరు 21, వేసవి కాలం జూన్ 21 కి దగ్గరగా, స్ప్రింగ్ కాంతి పాతము మార్చి 20 కి,మరియు ఆటుమ్నాల్ కాంతి పాతం సెప్టెంబరు 23 న వస్తాయి.[121]
భూమి యొక్క వంగి ఉండే కోణం చాల సేపటి వరకు స్థిరముగా ఉంటుంది.చాల చిన్న క్రమముగాలేని కదలికని న్యుటేషన్ అంటారు. ఈ వంకరుగా ఉన్న ప్రదేశం(టిల్ట్) కదలటానికి 18.6 సంవత్సరాల సమయం పడుతుంది.భూమి యొక్క కక్ష్య అల్లలడటం కొంత సమయం ప్రకారం మారుతుంది.ఇది 25,800 సంవత్సరాలకి ఒక చక్రం తిరుగుతుంది. ఇదే మాములు సంవత్సరానికి సైదిరియల్ సంవత్సరానికి తేడ.ఈ రెండు కదలికలు సూర్యుని మరియు చంద్రుని యొక్క వేరు వేరు ఆకర్షణ శక్తుల వల్ల భూమి యొక్క మధ్య రేఖ వంపు దగ్గర ఏర్పడతాయి.భూమి యొక్క ధ్రువాలు కూడా దాని యొక్క ఉపరితలం మీద నుంచి కొంత దూరం వెళ్ళిపోతాయి.ఈ పోలార్ కదలికలకి చాల చక్రాలు ఉంటాయి,వీటన్నిటిని 'క్వాసి పిరియోడిక్ మోషన్'అంటారు.ఈ కదలికతో పాటు 14-నెలల చక్రం ఉంది,దానిని 'చాన్డ్లేర్ వోబుల్'అంటారు.భూమి యొక్క తిరిగే వేగమును, రోజు యొక్క పొడవు ప్రకారం కూడా కనుక్కుంటారు.[122]
ఇప్పటి కాలంలో, భూమియొక్క పెరిహిలియన్ జనవరి 3, మరియు అపెహిలియన్ జూలై 4 న ఏర్పడతాయి.ఈ రోజులు సమయం ప్రకారం మారిపోతూ ఉంటాయి, దానికి కారణం ప్రెసేషన్ మరియు కక్ష్యకు సంబంధించిన కారణాలు.ఇవి ఒక చక్రాన్ని ఏర్పాటు చేస్తాయి,వాటిని మిలాన్కోవిట్చ్ చక్రాలు అని అంటారు.సూర్యుని మరియు భూమి యొక్క దూరంలో మార్పుల వల్ల 6.9%[123] కన్నా ఎక్కువ, పెరిలియన్ వద్ద భూమిని చేరే సౌర శక్తి అపెలియన్కి కూడా దగ్గరగా ఉంటుంది. భూమి యొక్క దక్షిణ భాగం సూర్యుని వైపుకు ఒకే సమయంలో కొంచం వంగి,సూర్యునికి భూమి దగ్గరగా ఉండుట వలన ఒక సంవత్సరంలో దక్షిణ భాగం, ఉత్తర భాగం కన్నా ఎక్కువ శక్తిని తీసుకుంటుంది.భూమి యొక్క కక్ష్య కొంచం వంగి ఉండుట వలన ఈ చర్య తక్కువ ప్రాచుర్యం లోకి వచ్చింది,దక్షిణ భాగంలో మిగిలిన శక్తి ఎక్కువ నీటి మోతాదులలో అరాయించుకుంటుంది.[124]
చంద్రుడు
చంద్రుడు,మాములు గ్రహాల లాగా కనపడే ఒక ఉపగ్రహం. చంద్రుని యొక్క మధ్యరేఖ భూమి కన్నా ఒక పావు ఎక్కువ. చంద్రుడు సౌర మండలంలోని అన్ని ఉపగ్రహాల కన్నా పెద్దది,ఇది రూపంలో భూ గ్రహానికి దగ్గరగా వుంటుంది.( కేరోన్ మరియు ద్వర్ఫ్ గ్రహాలలోకరోన్ పెద్దది.ప్లూటో.)(సహజ ఉపగ్రహాలు భూమి కాకుండా మిగతా గ్రహాల చుట్టూ తిరిగే వాటిని "మూన్స్"అంటారు.భూమి యొక్క ఉపగ్రహం తరువాత.
భూమికి చంద్రునికి మధ్య ఆకర్షణ శక్తి వల్ల భూమిపై అలలు ఏర్పడతాయి.ఇందు వల్లే చంద్రుడు భూమి చుట్టూ తిరిగే కాలమే చంద్రుని యొక్క భ్రమణ కాలము అయినది. దీనినే టైడల్ లాకింగ్ అంటారు. . కాబట్టి, అది ఎప్పుడు గ్రహానికి ఒక వైపుకు మాత్రమే వస్తుంది.చంద్రుడు భూమి చుట్టూ తిరగటం వల్ల, వివిధ భాగాలు సూర్యునిచే ప్రకాశింపబడతాయి, దీని వల్ల లునార్ ఫేసులు ఏర్పడతాయి. సోలార్ టెర్మీనెటార్ ద్వారా చీకటిగా ఉండే ప్రదేశం వెలుతురుగా ఉండే ప్రదేశంతో విడదీయ బడుతుంది.
అలలు కలవటం వల్ల, చంద్రుడు భూమి నుంచి సంవత్సరానికి 38mm వెనకకు వెళ్లి పోతాడు.కొన్ని లక్షల సంవత్సరాల తరువాత, ఈ చిన్న కదలికల వలన మరియు సంవత్సరానికి రోజులో 23 మిక్రో సెకను వంతు పెరుగుట వలన చాలా మార్పులు కలుగును.[125] 410 మిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం సంవత్సరానికి 400 రోజులు, రోజుకు 21.8 గంటలు ఉండేవి.[126]
భూమి యొక్క వాతావరణంపై చంద్రుడు తన ప్రభావం చూపిస్తూ దాని యొక్క ప్రగతికి అడ్డుపడ్డాడు.పురాణ జంతు శాస్త్రం మరియు కంప్యూటర్ లెక్కల ప్రకారం, చంద్రుని[127] వలన కలిగే అలలు భూమి కక్ష్యలో ఉన్న వంపుని నియంత్రిస్తాయి.ఇవి లేకపోతే సూర్యుడు మరియు ఇతర గ్రహాల ఆకర్షణ వల్ల భూమి యొక్క కక్ష్య కొన్ని వేల సంవత్సరాల తరబడి అస్తవ్యస్తంగా తయారయ్యేది. ఈ కారణం చేతనే బుధ గ్రహం[128] మీద అనుకూల వాతావరణం లేదు. భూమి యొక్క కక్ష్య క్రాంతి వృత్తము (ఎక్లిప్టిక్ ప్లేన్) వైపునాకు చేరినచో వాతావరణంలో విపరీతమైన మార్పులు సంభవించును.వేసవి కాలంలో ఒక ధ్రువం సూర్యుని వైపు సూటిగా ఉండాలి, మరియు శీత కాలంలో సుర్యినికి వేరే వైపు సూటిగా చుస్తుండాలి. గ్రహాలని అధ్యయనం చేసిన శాస్త్రవేత్తలు, ఈ ప్రమాదం గురించి అధ్యనం చేసి, దీని వల్ల జంతు మరియు వృక్ష జాతి నశించిపోవచ్చు అని సూచించారు.[129] ఇది ఇంకా ఒక కొలిక్కి రాని విషయము. బుధ గ్రహాన్ని అద్యయనం చేసిన శాస్త్రవేత్తలు చెప్పింది ఏమంటే, భూమి లాగే తిరిగే లక్షణాలు, కక్ష్య కల ఈ గ్రహానికి సంబంధించిన విషయాలు ఇక మీద జరిగే అధ్యయనం లోనే బయటపడాల్సి ఉంది.
భూమి నుంచి చూస్తే, చంద్రుడు చాల దగ్గరగా మరియు సూర్యుడు ప్రకాశించి నట్లు ప్రకాశిస్తూ కనిపిస్తాడు.ఈ రెండిటి యొక్క కోణము సైజ్ మరియు ఘన కోణము ఒకేలా ఉంటుంది. ఎందుకంటే, సూర్యుని యొక్క మధ్య రేఖ చంద్రుడి కన్నా 400 రెట్లు ఎక్కువ.[117] దీనివల్ల సంపూర్ణ మరియు అర్థ గ్రహణాలు భూమిపై ఏర్పడతాయి.
చాల మంది చంద్రుడి గురించి నమ్మే శాస్త్రం ఏమిటంటే, బుధ గ్రహం లాంటి ఒక ప్రోటోప్లానెట్ (దిఇయ) భూమితో గుద్దుకున్నప్పుడు చంద్రుడు ఏర్పడ్డాడు.దీనినే జైంట్ ఇంపాక్ట్ తియరి అని అంటారు. ఈ ఊహ చెప్పేదేమంటే, చంద్రుడిపై ఐరన్ మరియు ఆవిరయ్యే పదార్ధాలు ఏమి లేవు మరియు ఇంకొక నిజమేమిటంటే దీని యొక్క కవనము భూమి యొక్క క్రస్ట్ కి దగ్గరగా ఉంటుంది.[130]
భూమికి కనీసం రెండు కక్ష్యలలో ఉల్కలు ఉన్నాయి.అవి 3753 కృఇతన్ మరియు 2002 AA29.[131]
నివసించడం
గ్రహం ఏదైతే జీవించడానికి వీలుగా ఉంటుందో దానిని హాబీటబుల్ అని అంటారు. అక్కడ జీవించే ప్రాణులు లేకపోయిన,ఆ వాతావరణాన్ని కల్పించే ప్రదేశాలని కూడా హాబీటబుల్ అని అంటారు.భూమి జీవించడానికి తగినట్లుగా, ద్రవ రూపంలో ఉన్న నీటిని, ప్రాణులు నివసించడానికి వీలుగా ఉండే ప్రాంతాలని,బ్రతకడానికి కావలిసినంత శక్తిని కలిగి ఉంది.[132] సూర్యునికి భూమికి మధ్య ఉన్న దూరము,భూమి దాని యొక్క కక్షలో మధ్యరేఖను అనుసరించి తిరగటం,తిరిగే వేగం,కొంచం వంగే ఉండే కక్ష,భూగర్భ చరిత్ర,సరిన వాతావరణం,కాపాడడానికి వీలుగా ఉండే అయస్కాంత శక్తి,ఈ కారణాల వల్ల భూమి మీద ప్రాణులు నివసించడానికి వీలు ఉంది.[133]
జీవావరణం
గ్రహం మీద వున్న జీవ రాశులనే జీవావరణం అంటారు. ఈ బయోస్పెయర్ అనేది 3.5 బిలియన్ సంవత్సరాల క్రితం మొదలయిందని చెబుతారు.విశ్వంలో భూమి ఒక్కటే ప్రాణులు జీవించగలిగే పరిసరాలను కలిగి ఉంది.భూమి లాంటి బయోస్పెయర్స్ చాల అరుదుగా ఉంటాయని కొంతమంది శాస్త్రవేత్తలు నమ్ముతారు.[134]
బయోస్పెయర్ అనేది చాల బైయోమ్స్ క్రింద విభాజించబడుతుంది,ఇవి ఒకే రకంగా ఉండే మొక్కలని,జంతువులని కలిగి ఉంటుంది. భూమి మీద ముఖ్యంగా లాటిట్యుద్ మరియు సముద్ర ఉపరితలానికి ఎత్తులో బైయోమ్స్ విభజించబడి ఉన్నాయి..ఆర్కిటిక్,అంటార్కిటిక్ వృత్తం వద్ద వుండే,లేద ఎత్తుగా ఉండే ప్రదేశాల వద్ద తెరస్త్రియాల్ బైయోమ్స్ లో మొక్కలు లేద జంతువులు ఉండవు. ఎక్కువ లాటిట్యుడినల్ డివర్సిటీ భూమధ్య రాఖ వద్ద వుంటుంది. అక్కడ మొక్కలు,మరియు జంతువులు బాగా ఉంటాయి.[135]
సహజ వనరులు మరియు భూమి యొక్క వాడకం.
మనుషులు ఉపయోగించు కోడానికి వీలుగా భూమిపై కొన్ని సహజ వనరులు ఉన్నాయి. ఇందులో కొన్ని తక్కువ సమయములో తిరిగి వెనక్కి తేలేని వనరులు (ఖనిజములు వగైరా) కూడా ఉన్నాయి.
ఫాసిల్ ఫ్యయూల్స్ ఎక్కువ మొత్తంలో భూమి యొక్క క్రస్ట్ లో లభిస్తాయి,ఇందులో ముఖ్యంగా కోల్,పెట్రోలియం,సహజ వాయువు,మరియు మీథెన్ క్లాత్రాట్ ఉన్నాయి.మనుషులు వీటిని ఎక్కవగా శక్తిని ఉత్పత్తి చేయడానికి మరియు రసాయన ఉత్పత్తి చేయడానికి వినియోగిస్తారు.మినరల్ ఒర్ కూడా భూమి యొక్క క్రస్ట్ నుంచి ఉత్పత్తి అవుతుంది,దీనిని ఒర్ జెనసిస్ అనే పద్ధతి ద్వారా వెలికి తీస్తారు.[136] ఇవి ఏ మెటల్ నుంచైనా సారము తీయడానికి,మరియు ఇతర ఎలిమెంట్స్ కి కూడా వుపయోగపడుతుంది.
భూమి యొక్క బయోస్పెయర్ మనుషుల కోసం చాల ప్రాకృతిక పదార్ధాలను ఉత్పత్తి చేస్తోంది.అందులో కొన్ని భోజనం,చెక్క,మందులు,ఆక్సిజన్,మరియు వ్యర్ధ పదార్ధాలని మళ్లీ వాడుకోడానికి వీలుగా తేయరుచేస్తుంది. భూమి మీద ఉండే జీవావరణం మంచి నీరు మరియు నెల మీద ఉండే మట్టి మీద ఆధారపడి ఉంటుంది. సముద్రాలలో ఉండే జీవావరణం భూమి మీద నుంచి కొట్టుకుపోయిన పోషక విలువల మీద ఆధారపడి వుంటుంది.[137] మానవులు భూమి మీద ఇల్లు నిర్మిచుకుని జీవిస్తారు. 1993,లో మనుషులు భూమిని వినియోగించిన శాతం(సుమారు)
1993 లో ఆశించిన సాగు భూమి 2,481,250 చదరపు కిలోమీటర్లు [6]
ప్రకృతి వైపరీత్యాలు
పెద్ద ప్రదేశాలలో వాతావరణంలో మార్పుల వల్ల వరదలు,తుఫాన్లు మొదలైనవి ఏర్పడి మనుషులకు కష్టపెడుతున్నాయి.భూకంపాలు,కొండ చర్యలు విరగటం,సునామీ,అగ్ని పర్వతాలు బ్రద్దలవటం,వరదలు,కరువు,చీకటి చేసే మంచు వర్షాలు,ఉగ్రమైన గాలి వాన మొదలైన ప్రాకృత వైపరిత్యలకు చాల ప్రదేశాలు గురి అవుతున్నాయి.
గాలి మరియు నీటి యొక్క కాలుష్యం,ఆమ్ల వర్షాలు,పంటలు పండించకపోవటం,చెట్లు నరకటం,జంతువులని చంపటం,కొన్ని జాతుల జంతువులు మరియు పక్షులు అంతరించి పోవడం,మట్టి దాని యొక్క సారాన్ని కోల్పోవటం, మొదలైనవి మనుషుల చేసే కాలుష్యం ద్వారా ఏర్పడుతున్నాయి.
మానవుని వలన (పరిశ్రమలు వెదజల్లే పొగలో ఉండే కార్బన్ డయాక్సైడ్) భూగ్రహం మీద వేడి పెరిగి "గ్లోబల్ వార్మింగ్"కి దారి తీస్తుంది అని శాస్త్రీయంగా నిరూపించబడింది.దీని వల్ల వాతావరణంలో చల్ల ప్రమాదకర మార్పులు సంభవిస్తాయి,అవి మంచు కరగటం,ఒకేసారి భూమి యొక్క వీడి పెరగడం లేదా తగ్గటం,వాతావరణంలో మార్పులు మరియు సముద్ర మట్టంలో నీరు పెరగటం లాంటివి జరుగుతాయి.[138]
మనుషుల భూగోళ శాస్త్రం
పటములను అధ్యయనం చేయడం, తయారు చేయడాన్ని కార్టోగ్రఫీ అంటారు. భూమిని గురించి చెప్పటానికి కార్టోగ్రఫీ, జియోగ్రఫీని చారిత్రకంగా వాడతారు. అధ్యయనం (అనగా ప్రదేశాలను దూరాలను నిర్దేశించుట) మరియు నౌకాయానము (అనగా స్థితిని దిశను నిర్దేశించుట) అనునవి కార్టోగ్రఫీ, జియోగ్రఫీతో పాటుగా అభివృద్ధి చెందాయి. దీని వలన చాల వరకు విషయాలను లెక్కగట్ట గలిగారు.
భూమిపై సుమారు 6,740,000,000 జనాభా నవంబరు 2008 నాటికి ఉంది. శాస్త్రవేత్తలు అంచనా ప్రకారం ప్రపంచ మొత్తం జనాభా 2013 నాటికి ఏడు బిల్లిఒన్లకు చేరుతుంది,మరియు 2050 నాటికి 9.2 బిల్లిఒన్లకు చేరుతుంది.జనాభా పెరుగుదల ఎక్కువగా అభివృద్ధి చెందిన దేశాలలోనే వుంటుంది.మనుషుల జనాభా సాంద్రత ప్రపంచ మంతా వుంటుంది,కానీ ఎక్కువ మంది మాత్రం ఆసియాలో నివసిస్తారు.2020 నాటికి,60% ప్రపంచ జనాభా మాములు ప్రదేశాలలో కన్నా అభివృద్ధి చెందిన ప్రదేశాలలోనే నివసిస్తారని అంచనా.
అధ్యయనాల ప్రకారం కేవలం 1/8 ప్రదేశం మాత్రమే మనుషులు నివసించడానికి వీలుగా ఉంది.మిగతా ప్రదేశం అంత సముద్రంతో నిండి ఉంది. మరియు మిగతా సగం ఎడారులతో (14%),[139] పెద్ద పర్వతాలతో(27%),[140],ఇంకొన్ని పాత కట్టడాలతో నిండి ఉంది.దక్షిణ దిక్కులో ప్రపంచం మొత్తానికి స్థిరముగా వున్నది ఎల్లెస్మెరే దీవిలో వున్నా అలెర్ట్. అది నునావుట్,కెనడాలో[141] (82°28′N)వుంది.ఉత్తరాన అమున్దేన్-స్కాట్ ఉతర ధ్రువ స్టేషను,ఇది అంటార్కిటికాలో ఇంచుమించు ఉత్తర ధ్రువంలో ఉంది. (90°S)
అంటార్కిటికా లోని కొంత ప్రదేశం తప్ప భూ గ్రహం యొక్క మొత్తం ప్రాంతాన్ని ఇండిపెండెంట్ సోవరిన్ నేషన్ అథ్యయనమ్ చేసింది.2007 వరకు మొత్తం 201 సోవరిన్ రాష్ట్రాలు ఉన్నాయి.ఇవి మొత్తం 192 యునిటేడ్ నేషన్స్ మెంబర్ రాష్ట్రాలుతో కలిపి వున్న సంఖ్య.వీటితో కలిపి 59 ఇండిపెండెంట్ టేరితోరీస్ మరియు కొన్ని ఆటోనోమౌస్ ఏరియాస్,గొడవలలో వున్న టేరితోరీస్ మరియు ఇతర ప్రదేశాలు ఉన్నాయి.[6] చరిత్రల ప్రకారం భూమికి ఎప్పుడు ఒక అధికారక ప్రభుత్వం లేదు. చాల ప్రపంచ దేశాలు ఈ ప్రభుత్వం లోసం పోరాడి ఓడిపోయాయి.[142]
ఐక్యరాజ్యసమితి అనేది ప్రపంచ ప్రఖ్యాత ప్రభుత్వ అంతర్గత నిర్మాణ సంస్థ. అది ప్రపంచ దేశాల మధ్య వున్న వైరాలను, మరియు యుద్ధాలను తొలగించడానికి ఏర్పాటు చేసిన వ్యవస్థ. ఇది ఒక ప్రపంచ ప్రభుత్వ సంస్థ. ఐక్య రాజ్యా సమితి ప్రపంచంలో అన్ని దేశాల చట్టాల అంగీకారంతో, దేశాల మధ్య రాయభారం నెరుపుతుంది[143]. సభ్య దేశాల అంగీకారంతో అవసరమైతే ఆయుధాలతో కూడా మధ్య వర్తిత్వం నెరుపుతుంది.
భూమి యొక్క గ్రహ మార్గం వైపు పయనించిన మొదటి మనిషి యూరి గగారిన్. ఇతను 1961 ఏప్రిల్ 12.[144] మొత్తం 400 మంది భూమిపై చేరారు,మరియు గ్రహ మార్గం(orbit) వైపు పయనించారు. ఇందులో మొత్తం 12 మంది చంద్రుడి మీద నడిచారు.[145]}[379][377][381] విశ్వంలో వున్న మనుషులు మాత్రమే అంతర్జాతీయ స్పేస్ స్టేషన్లో కూడా ఉన్నారు. స్పేస్ స్టేషన్లో ఉన్న ముగ్గురు మనుషులని ప్రతి ఆరు నలలకి ఒకసారి మారిపోతుంటారు.[146] మనుషులు భూగ్రహం నుండి 1970 కాలంలో అపోలో 13 భూమికి 400,171 కిమీ దూరంలో ఉన్నప్పుడు అత్యంత దూరం ప్రయాణించారు.[147][148]
సాంస్కృతిక పథం
"భూమి" అనే పదం ఆంగ్లో-సక్షన్ పదం "ఏర్డ" నుంచి వచ్చింది. ఈ పదానికి నేల లేదా మట్టి అని అర్థం.ఈ పదం "ఎఒర్తే " అని పాత ఆంగ్లం లో అనేవారు.తరువాత "ఎర్తే" అని మధ్య ఆంగ్లం లో అనేవారు.[149] భూమి యొక్క సరైన అస్త్రోనోమికాల్ గుర్తు ఒక వృత్తంలో శిలువ ఆకారం వుంటుంది.[150]
భూమిని తరువాత దేవుడుగా ముఖ్యంగా దేవతగా వ్యాఖ్యానించారు.చాల ఆచారాలలో ఆడ దేవతలని భూమాత,గా మరియు సారవంతమైన దేవతగా వ్యాఖ్యానించేవారు.వివిధ మతాలలో చెప్పిన కల్పిత కథల ప్రకారం భూమి యొక్క ఆవిర్భావం మహిమలున్న దేవుడు లేదా దేవతలచే ఆవిర్భావం చెందింది.చాల రకల మతాలు,చాల ప్రధానమైన పుస్తకాల,ఇంకా మహర్షులు,రోమన్ కాతోలిక్ మతానికి విరుద్ధ మతానికి చెందినా వారు [151] మహామ్మదీయులు,[152] అందరు భూమి యొక్క పుట్టుక గురించి మరియు భూమి మీద జీవులు[153] పెరగడం గురించి చాల బాగా వివరించారు. ఈ ప్రభోదల్ని శాస్త్రవేత్తలు[154][155] మరియు ఇంకొంతమంది మత పెద్దలు [156][157][158] తప్పని కొట్టి పారేసారు.
భూమి సమానంగా వుండేదని[159] గతంలో చాలా నమ్మకాలు ఉండేవి.కానీ ఇది భూమి గుండ్రంగా వుంటుందని కనుక్కోవటం వల్ల మరుగున పడింది.దీనిని ఓడ యొక్క ప్రయాణాన్ని బట్టి కనుగున్నారు.[160] మనుషుల నమ్మకం ఏమిటంటే భూమి గుండ్రంగా ఉంటుందని కనుక్కోవటం వల్ల బయోస్పియర్ వెల్దపుగా కనబడుతోందని అనేవారు.[161][162]
పర్యావరణ ఉద్యమం చేపట్టారు. ఇది మనుషుల భూమి పైన చేసే నష్టాల గురించి వివరిస్తుంది.[163]
ఇవీ చూడండి
భూమికి సంబందించిన విషయాల పట్టిక
భూగోళ శాస్త్రం
భూగర్భ శాస్త్రం
ప్రభుత్వ భూమి
భూమిని కొలవడం
గమనిక
సూచనలు /రేఫెరెన్సెస్
వ్యాకరణ పట్టి
Unknown parameter |coauthors= ignored (|author= suggested) (help)
బాహ్య లింకులు
వర్గం:గ్రహాలు
వర్గం:పంచ భూతములు
వర్గం:సౌరమండలం
వర్గం:ఖగోళ శాస్త్రము
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%AD%E0%B1%82%E0%B0%AE%E0%B0%BF |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
465,
685,
798,
1208,
1331,
1644,
2045,
2508,
3309,
3846,
4512,
4619,
5177,
5786,
6007,
6165,
6355,
6644,
7747,
8225,
8626,
8986,
9340,
9725,
9870,
10473,
11027,
11607,
12243,
12602,
13074,
13552,
14054,
14621,
15158,
17210,
17740,
18335,
18562,
19158,
19550
],
"plaintext_end_byte": [
464,
684,
787,
1196,
1330,
1643,
2044,
2507,
3297,
3786,
4511,
4604,
5158,
5785,
6006,
6140,
6354,
6628,
7746,
8224,
8616,
8985,
9339,
9724,
9869,
10472,
11011,
11606,
12242,
12601,
13073,
13551,
14053,
14620,
15142,
17209,
17732,
18333,
18561,
19157,
19539,
19627
]
} | What was the largest population of the Aztecs? | Tenochtitlan | english | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Tenochtitlan (Nahuatl languages: Mēxihco Tenōchtitlan pronounced[meːˈʃiʔko tenoːt͡ʃˈtit͡ɬan]; Spanish: Tenochtitlán or México-Tenochtitlan) was a large Mexica city-state in what is now the center of Mexico City. Founded on June 20, 1325, the city was built on an island in what was then Lake Texcoco in the Valley of Mexico. The city was the capital of the expanding Aztec Empire in the 15th century[1] until it was captured by the Spanish in 1521.
At its peak, it was the largest city in the Pre-Columbian Americas. It subsequently became a cabecera of the Viceroyalty of New Spain. Today, the ruins of Tenochtitlan are in the historic center of the Mexican capital.
Tenochtitlan was one of two Mexica āltēpetl (city-states) on the island, the other being Tlatelolco.
Etymology
Traditionally, the name Tenochtitlan was thought to come from Nahuatl tetl [ˈtetɬ] ("rock") and nōchtli [ˈnoːtʃtɬi] ("prickly pear") and is often thought to mean, "Among the prickly pears [growing among] rocks". However, one attestation in the late 16th-century manuscript known as "the Bancroft dialogues" suggest the second vowel was short, so that the true etymology remains uncertain.[2]
Geography
Tenochtitlan covered an estimated 8 to 13.5km2 (3.1 to 5.2sqmi), situated on the western side of the shallow Lake Texcoco.
At the time of Spanish conquests, Mexico City comprised both Tenochtitlan and Tlatelolco. The city extended from north to south, from the north border of Tlatelolco to the swamps, which by that time were gradually disappearing to the west; the city ended more or less at the present location of Avenida Bucareli.
The city was connected to the mainland by bridges and causeways leading to the north, south, and west. The causeways were interrupted by bridges that allowed canoes and other water traffic to pass freely. The bridges could be pulled away, if necessary, to defend the city. The city was interlaced with a series of canals, so that all sections of the city could be visited either on foot or via canoe.
Lake Texcoco was the largest of five interconnected lakes. Since it formed in an endorheic basin, Lake Texcoco was brackish. During the reign of Moctezuma I, the "levee of Nezahualcoyotl" was constructed, reputedly designed by Nezahualcoyotl. Estimated to be 12 to 16km (7.5 to 9.9mi) in length, the levee was completed circa 1453. The levee kept fresh spring-fed water in the waters around Tenochtitlan and kept the brackish waters beyond the dike, to the east.
Two double aqueducts, each more than 4km (2.5mi) long and made of terracotta,[3] provided the city with fresh water from the springs at Chapultepec. This was intended mainly for cleaning and washing. For drinking, water from mountain springs was preferred. Most of the population liked to bathe twice a day; Moctezuma was said to take four baths a day. According to the context of Aztec culture in literature, the soap that they most likely used was the root of a plant called copalxocotl (Saponaria americana),[4] and to clean their clothes they used the root of metl (Agave americana). Also, the upper classes and pregnant women washed themselves in a temāzcalli, similar to a sauna bath, which is still used in the south of Mexico. This was also popular in other Mesoamerican cultures.
City plans
When we saw so many cities and villages built in the water and other great towns on dry land we were amazed and said that it was like the enchantments (...) on account of the great towers and cues and buildings rising from the water, and all built of masonry. And some of our soldiers even asked whether the things that we saw were not a dream? (...) I do not know how to describe it, seeing things as we did that had never been heard of or seen before, not even dreamed about.—Bernal Díaz del Castillo, The Conquest of New Spain[5]
The city was divided into four zones, or camps; each camp was divided into 20 districts (calpullis, Nahuatl calpōlli); and each calpulli, or 'big house', was crossed by streets or tlaxilcalli. There were three main streets that crossed the city, each leading to one of the three causeways to the mainland of Tepeyac, Ixtapalpa, and Tlacopan.[6] Bernal Díaz del Castillo reported that they were wide enough for ten horses. Surrounding the raised causeways were artificial floating gardens with canal waterways and gardens of plants, shrubs, and trees.[7] The calpullis were divided by channels used for transportation, with wood bridges that were removed at night.
The earliest European images of the city were woodcuts published in Augsburg around 1522.[8]
Marketplaces
Each calpulli (from Classical Nahuatl calpōlli, Nahuatl pronunciation: [kaɬˈpoːlːi], meaning "large house") had its own tiyanquiztli (marketplace), but there was also a main marketplace in Tlatelolco – Tenochtitlan's sister city. Cortés estimated it was twice the size of the city of Salamanca with about 60,000 people trading daily. Bernardino de Sahagún provides a more conservative population estimate of 20,000 on ordinary days and 40,000 on feast days. There were also specialized markets in the other central Mexican cities.
Public buildings
In the center of the city were the public buildings, temples, and palaces. Inside a walled square, 500 meters to a side, was the ceremonial center. There were about 45 public buildings, including: the Templo Mayor, which was dedicated to the Aztec patron deity Huitzilopochtli and the Rain God Tlaloc; the temple of Quetzalcoatl; the tlachtli (ball game court) with the tzompantli or rack of skulls; the Sun Temple, which was dedicated to Tonatiuh; the Eagle's House, which was associated with warriors and the ancient power of rulers; the platforms for the gladiatorial sacrifice; and some minor temples.[9]
Outside was the palace of Moctezuma with 100 rooms, each with its own bath, for the lords and ambassadors of allies and conquered people. Also located nearby was the cuicalli, or house of the songs, and the calmecac.[10]
The city had great symmetry. All constructions had to be approved by the calmimilocatl, a functionary in charge of the city planning.
Palaces of Montezuma II
The palace of Montezuma II also had two houses or zoos, one for birds of prey and another for other birds, reptiles, and mammals. About 300 people were dedicated to the care of the animals.
There was also a botanical garden and an aquarium. The aquarium had ten ponds of salt water and ten ponds of fresh water, containing various fish and aquatic birds. Places like this also existed in Texcoco, Chapultepec, Huaxtepec (now called Oaxtepec), and Texcotzingo.[11]
Social classes
Tenochtitlan can be considered the most complex society in Mesoamerica in regard to social stratification. The complex system involved many social classes. The macehualtin were commoners who lived outside the island city of Tenochtitlan. The pipiltin were noblemen who were relatives of leaders and former leaders, and lived in the confines of the island. Cuauhipiltin, or eagle nobles, were commoners who impressed the nobles with their martial prowess, and were treated as nobles.[6] Teteuctin were the highest class, rulers of various parts of the empire, including the king. Tlacohtin were individuals who chose to enslave themselves to pay back a debt; they were not slaves forever and were not treated as badly as typical slaves seen in other ancient civilizations worldwide. Finally, the pochteca were merchants who traveled all of Mesoamerica trading. The membership of this class was based on heredity. Pochteca could become very rich because they did not pay taxes, but they had to sponsor the ritual feast of Xocotl Huetzi from the wealth that they obtained from their trade expeditions.
Status was displayed by location and type of house where a person lived. Ordinary people lived in houses made of reeds plastered with mud and roofed with thatch. People who were better off had houses of adobe brick with flat roofs.[6] The wealthy had houses of stone masonry with flat roofs. They most likely made up the house complexes that were arranged around the inner court. The higher officials in Tenochtitlan lived in the great palace complexes that made up the city.
Adding even more complexity to Aztec social stratification was the calpolli. Calpolli, meaning ‘big house’ is a group of families related by either kinship or proximity. These groups consist of both elite members of Aztec society and commoners. Elites provided commoners with arable land and nonagricultural occupations, and commoners performed services for chiefs and gave tribute.[12]
History
Tenochtitlan was the capital of the Mexican civilization of the Mexica people, founded in 1325. The state religion of the Mexica civilization awaited the fulfillment of an ancient prophecy: the wandering tribes would find the destined site for a great city whose location would be signaled by an eagle with a snake in its beak perched atop a (Opuntia) cactus.
The Mexica saw this vision on what was then a small swampy island in Lake Texcoco, a vision that is now immortalized in Mexico's coat of arms and on the Mexican flag. Not deterred by the unfavourable terrain, they set about building their city, using the chinampa system (misnamed as "floating gardens") for agriculture and to dry and expand the island.
A thriving culture developed, and the Mexica civilization came to dominate other tribes around Mexico. The small natural island was perpetually enlarged as Tenochtitlan grew to become the largest and most powerful city in Mesoamerica. Commercial routes were developed that brought goods from places as far as the Gulf of Mexico, the Pacific Ocean and perhaps even the Inca Empire.[13]
After a flood of Lake Texcoco, the city was rebuilt under the rule of Ahuitzotl in a style that made it one of the grandest ever in Mesoamerica.
Spanish conquistador Hernán Cortés arrived in Tenochtitlan on November 8, 1519. With an estimated population between 200,000 and 300,000, many scholars believe Tenochtitlan to have been among the largest cities in the world at that time.[14] Compared to the cities of Europe, only Paris, Venice and Constantinople might have rivaled it. It was five times the size of the London of Henry VIII.[6] In a letter to the Spanish king, Cortés wrote that Tenochtitlan was as large as Seville or Córdoba. Cortes' men were in awe at the sight of the splendid city and many wondered if they were dreaming.[15]
Although some popular sources put the number as high as 350,000,[16] the most common estimates of the population are of over 200,000 people. One of the few comprehensive academic surveys of Mesoamerican city and town sizes arrived at a population of 212,500 living on 13.5km2 (5.2sqmi),[17] It is also said that at one time, Moctezuma had rule over an empire of almost five million people in central and southern Mexico because he had extended his rule to surrounding territories to gain tribute and prisoners to sacrifice to the gods.[7]
Conquest era
When Cortés and his men arrived in Tenochtitlan, Moctezuma II, who precariously ruled over a large empire, chose to welcome Cortés as an honored guest, rather than risk a war which might quickly be joined by aggrieved indigenous people. Moctezuma may have feared that Cortés was the returning god Quetzalcoatl, because the Spanish arrival coincided with the close of an Aztec calendar cycle consistent with such a return. This claim is found in the Florentine Codex, among other early sources, and accepted as true in many later histories. However, some scholars doubt it.[18]
As Cortés approached Tenochtitlan, the natives celebrated Toxcatl. At this event the most prominent warriors of altepetl would dance in front of a huge statue of Huitzilopochtli. The Spanish leader, Pedro de Alvarado, who was left in charge, worried that the natives planned a surprise attack. He captured three natives and tortured them until they said that this was indeed true. There was no proof, however, but Alvarado decided to attack first. During the festival, the Spaniards came heavily armed and closed off every exit from the courtyard so that no one would escape. This happened during their last days in Tenochtitlan.[19]
Nobles lined each side of the city's main causeway, which extended about a league. Walking down the center came Moctezuma II, with two lords at his side, one his brother, the ruler of Iztapalapa. Cortés dismounted and was greeted by the ruler and his lords, but forbidden to touch him. Cortés gave him a necklace of crystals, placing it over his neck.[20]
They were then brought to a large house that would serve as their home for their stay in the city. Once they were settled, Moctezuma himself sat down and spoke with Cortés. The great ruler declared that anything that they needed would be theirs to have.[21] He was thrilled to have visitors of such stature. Although the Spaniards were seeking gold, Moctezuma expressed that he had very little of the sort, but all of it was to be given to Cortés if he desired it.[22]
Since arriving in Tenochtitlan, Cortés faced early trouble. Leaving a post in Vera Cruz, the officer left in charge received a letter from Qualpopoca, the leader of Almería, asking to become a vassal of the Spaniards. He requested that officials be sent to him so that he could confirm his submission. To reach the province, the officers would have to travel through hostile land. The officer in charge of Vera Cruz decided to send four officers to meet with Qualpopoca.[23]
When they arrived, they were captured and two were killed, the other two escaping through the woods. Upon their return to Vera Cruz, the officer in charge was infuriated, and led troops to storm Almería. Here they learned that Moctezuma was supposedly the one who ordered the officers executed.[24] Back in Tenochtitlan, Cortés detained Moctezuma and questioned him.[25] Though no serious conclusions were reached, this started the relationship between Moctezuma and the Spaniards on a bad note.[26]
Cortés subsequently besieged Tenochtitlan for 75 days, causing a famine;[7] directed the systematic destruction and leveling of the city;[27] and began its rebuilding, despite opposition, with a central area designated for Spanish use (the traza). The outer Indian section, now dubbed San Juan Tenochtitlan, continued to be governed by the previous indigenous elite and was divided into the same subdivisions as before.[28] While the people of Tenochtitlan were celebrating the few Spaniards who were not able to escape and were killed, the city was in great ruins.
The people of Tenochtitlan were exposed to diseases. Someone who was exposed would not feel it for the first ten days, then the disease would spread throughout the body, causing many sores, pain in the body and high fever. People were weak to the point that they could not move, nor obtain food and water. They couldn't cook or bury the remaining dead bodies from the conquest. The population of the people of Tenochtitlan began to starve and weaken. The death toll rose steadily over the course of the next 60 days.[29]
Colonial era
Cortés founded the Spanish capital of Mexico City on the ruins of Tenochtitlan. Despite the extensive damage to the built environment, the site retained symbolic power and legitimacy as the capital of the Aztec empire, which Cortés sought to appropriate. For a time this ciudad de españoles, the highest rank in the Spanish hierarchy of settlement designation, was called Mexico–Tenochtitlan. Charles Gibson devotes the final chapter of his classic work, The Aztecs Under Spanish Rule, to what he called "The City,"[30] with later historians building on his work.[31] The Spaniards established a cabildo or town council, which had jurisdiction over the Spanish residents. The Spanish established a Europeans-only zone in the center of the city, an area of 13 blocks in each direction of the central plaza, which was the traza. Although many native residents died during the siege of Tenochtitlan, the indigenous still had a strong presence in the city, and were settled in two main areas of the island, designated San Juan Tenochtitlan and Santiago Tlatelolco, each with a municipal council that functioned the entire colonial period. San Juan Tenochtitlan was a Spanish administrative creation, which amalgamated four indigenous sections, with each losing territory to the Spanish traza. The Spanish laid out the streets of the traza in a checker board pattern, with straight streets and plazas at intervals, whereas the indigenous portions of the city were irregular in layout and built of modest materials. In the colonial period both San Juan Tenochtitlan and Santiago Tlatelolco retained jurisdiction over settlements on the mainland that they could draw on for labor and tribute demanded by the Spanish, but increasingly those subordinate settlements (sujetos) were able to gain their autonomy with their own rulers and separate relationship with the Spanish rulers.[32] Concern about the health of the indigenous population in early post-conquest Mexico–Tenochtilan led to the founding of a royal hospital for indigenous residents.[33]
There are a number of colonial-era pictorial manuscripts dealing with Tenochtitlan–Tlatelolco, which shed light on litigation between Spaniards and indigenous over property.[34] An account with information about the war of Tenochtitlan against its neighbor Tlatelolco in 1473 and the Spanish conquest in 1521 is the Anales de Mexico y Tlatelolco, 1473, 1521–22.[35] Anthropologist Susan Kellogg has studied colonial-era inheritance patterns of Nahuas in Mexico City, using Nahuatl- and Spanish-language testaments.[36]
Ruins
Tenochtitlan's main temple complex, the Templo Mayor, was dismantled and the central district of the Spanish colonial city was constructed on top of it. The great temple was destroyed by the Spanish during the construction of a cathedral. The location of the Templo Mayor was rediscovered in the early 20th century, but major excavations did not take place until 1978–1982, after utility workers came across a massive stone disc depicting the nude dismembered body of the moon goddess Coyolxauhqui. The disc is 3.25 meters (10ft 8in) in diameter, and is held at the Templo Mayor Museum.[37]
The ruins, constructed over seven periods, were built on top of each other. The resulting weight of the structures caused them to sink into the sediment of Lake Texcoco; the ruins now rest at an angle instead of horizontally.
Mexico City's Zócalo, the Plaza de la Constitución, is located at the site of Tenochtitlan's original central plaza and market, and many of the original calzadas still correspond to modern city streets. The Aztec calendar stone was located in the ruins. This stone is 4 meters (13ft 1in) in diameter and weighs over 20 short tons (17.9 long tons; 18.1 metric tons). It was once located half-way up the great pyramid. This sculpture was carved around 1470 under the rule of King Axayacatl, the predecessor of Tizoc, and is said to tell the history of the Mexicas and to prophesy the future.[38]
In August 1987, archaeologists discovered a mix of 1,789 human bones five meters (16ft 5in) below street level in Mexico City.[39] The burial dates back to the 1480s and lies at the foot of the main temple in the sacred ceremonial precinct of the Aztec capital. The bones are from children, teenagers and adults. A complete skeleton of a young woman was also found at the site.[39]
See also
List of megalithic sites
List of Mesoamerican pyramids
History of Mexico City
Notes
| https://en.wikipedia.org/wiki/Tenochtitlan |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
2322,
4027,
5075,
7214,
9327,
10506,
11766,
13662,
15131,
18544,
20986,
24092,
25916,
27496,
29554,
29657
],
"plaintext_end_byte": [
2321,
4026,
5025,
7213,
9161,
10505,
11765,
13661,
15012,
18543,
20985,
24006,
25915,
27495,
29483,
29656,
29984
]
} | เพกทิน เป็นพอลิเมอร์ชีวภาพที่ค้นพบจากการทดลองใด ? | เพกทิน | thai | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
เพกทิน (English: pectin) เป็นพอลิเมอร์ชีวภาพ (biopolymer) หรือพอลิเมอร์ธรรมชาติ (natural polymer) ที่มีการใช้กันอย่างกว้างขวางในอุตสาหกรรมอาหารและเครื่องดื่มมาช้านานโดยใช้เป็นสารเพิ่มความข้นหนืด สารก่อเจล ในผลิตภัณฑ์แยม เจลลี่ และสารเพิ่มความคงตัวของระบบคอลลอยด์ในเครื่องดื่มน้ำผลไม้และผลิตภัณฑ์ที่มีลักษณะเนื้อคล้ายเยลลี่ ในช่วง 2-3 ทศวรรษที่ผ่านมามีการนำเพกทินมาใช้ในทางเภสัชกรรมและอุตสาหกรรมยาเพิ่มมากขึ้นเรื่อยๆ เนื่องจากเพกทินมีสมบัติเฉพาะที่ทำให้สามารถนำมาใช้เก็บกักหรือนำส่งยา โปรตีน และเพปไทด์ เป็นต้น [1] และจัดเป็นคาร์โบไฮเดรตประเภทไฟเบอร์หรือเส้นใยอาหารที่ไม่ถูกย่อยโดยเอนไซม์ในระบบการย่อยของร่างกายมนุษย์ ซึ่งได้รับความสนใจจากนักโภชนาการมากขึ้น เพราะจากการวิจัยให้ผลออกมาว่าอาหารที่มีไฟเบอร์สูงจะช่วยป้องกันการเกิดโรคต่างๆ หรือในทางกลับกันคนที่กินอาหารที่มีไฟเบอร์น้อยก็มีความเสี่ยงที่จะเกิดโรคต่างๆ ได้ง่ายขึ้น
เพกทินเป็นโพลีแซคคาไรด์ที่เป็นโครงสร้างของผนังเซลล์ของพืชชั้นสูงเกือบทุกชนิด จัดเป็นสารประกอบคาร์โบไฮเดรตเช่นเดียวกับแป้งและเซลลูโลส ค้นพบในศตวรรษที่ 18 ทำหน้าที่เป็นสารที่ทำให้เกิดเจล โดยในปี ค.ศ.1825 Henri Braconnot (เภสัชกรและนักพฤกษเคมีชาวฝรั่งเศส) ได้ตั้งชื่อและริเริ่มศึกษากรรมวิธีการสกัดเพกทิน[2] [3] เพกทินมาจากภาษากรีกว่า “pektikos” ซึ่งแปลว่าทำให้ข้นแข็ง (to congeal) หรือทำให้กลายเป็นของแข็ง (to solidify)[4]. Kertesz[5] ได้ให้คำจำกัดความของเพกทินว่าเป็นกรดเพกตินิก (pectinic acid) ชนิดละลายน้ำได้ซึ่งมีปริมาณหมู่เมทิลเอสเทอร์หลากหลาย สามารถเกิดเป็นเจลในสภาวะที่มีน้ำตาลและความเป็นกรดที่เหมาะสมหรือสภาวะที่มีเกลือแคลเซียมร่วมอยู่ด้วย
สารประกอบเพกทินทำหน้าที่เป็นโครงสร้างของเซลล์และเป็นสารที่สำคัญในบริเวณชั้นผนังเชื่อมยึดระหว่างเซลล์หรือมิดเดิลลาเมลลา (middle lamella) ที่ยึดเหนี่ยวเซลล์เข้าด้วยกัน โดยจับกับเซลลูโลส เฮมิเซลลูโลส และไกลโคโปรตีนของผนังเซลล์พืช[6] เพกทินช่วยเสริมผนังเซลล์ให้หนา แข็งแรง และยืดหยุ่นได้เล็กน้อย โดยเฉพาะบริเวณที่มีเนื้อเยื่ออ่อนนุ่ม เช่น ต้นอ่อน ใบ และผลไม้
คุณสมบัติทางเคมี
สารกลุ่มเพกทินเป็นโพลีแซกคาไรด์เชิงซ้อนในพืช พบในพืชชั้นสูงโดยปรากฏในชั้นระหว่างเซลล์หรือจุดเชื่อมต่อระหว่างผนังเซลล์ ทำให้เกิดช่องสำหรับอาหารและน้ำผ่าน ในผนังเซลล์[7] สารกลุ่มเพกทินเป็นสารเคลือบเส้นใยเซลลูโลสที่สำคัญและอาจจะเชื่อมต่อกับพันธะโควาเลนต์กับโพลีเมอร์อื่นๆ สารกลุ่มเพกทินจัดจำแนกได้เป็น โปรโตเพกทิน เพกทิน (เพกทินมีหมู่ methoxyl สูง – เพกทินจัดตัวเร็วและเพกทินจัดตัวช้า- และเพกทินมีหมู่ methoxyl ต่ำ) และกรดเพกติก เพกทินมีอิทธิพลต่อการเจริญ พัฒนาการและการแก่ชรา และมีผลต่อลักษณะเนื้อสัมผัสของเนื้อเยื่อพืชและผลไม้ มีการใช้เพกทินอย่างแพร่หลายในอุตสาหกรรมอาหารด้วยคุณสมบัติในการก่อรูปเป็นเจล โดยใช้เป็นสารก่อเจและความคงตัวในแยม เยลลี่ และผลิตภัณฑ์นมเปรี้ยว ผิวของผลพืชตระกูลส้ม กากผลแอปเปิล และลำต้นของซูการ์ บีต เป็นแหล่งที่ดีของเพกทิน
เพกทินเป็นเฮเทอโรโพลีแซกคาไรด์ที่ซับซ้อน ประกอบด้วย homogalactoronan, rhamnogalactoronan I, และ rhamnogalactoronan II เป็นโครงสร้างหลัก homogalactoronan ประกอบด้วย (1→4) -linked α-D-galacturonic acid หมู่คาร์บอกซิล หมู่เอสเทอร์ที่เติมเมทิลและหมู่ไฮดรอกซิล บางกลุ่มถูกเติมหมู่อะซีติลเชื่อมติดกับออกซิเจนตัวที่ 2 หรือ 3 ซึ่งมีผลต่อคุณสมบัติของเพกทิน rhamnogalactoronan I ประกอบด้วย (1→4) -linked α-D-galacturonic acid และ (1→2) -linked α-L-rhamnose ซึ่งจะรวมตัวซึ่งกันและกันในส่วนที่เป็นสายหลัก และบางส่วนของ rhamnose มีการแตกกิ่งเป็นสายย่อยด้านข้าง ซึ่งมี arabinose, galactan, และ arabinogalactan ที่ออกซิเจนตำแหน่งที่ 4 ของ rhamnose rhamnogalactoronan II มีโครงสร้างที่ซับซ้อนมาก ประกอบด้วย (1→4) -linked α-D-galacturonic acid ในส่วนสายหลัก และมีน้ำตาลแปลกๆ เช่น D-apiose, 2-keto-3-deoxy-D-manno-2-octulosonic acid (Rdo) , 3-deoxy-D-lyxo-2-heptolosaric acid (Dha) และอื่นๆซึ่งอยู่ในสายย่อยเชื่อมติดกับออกซิเจนตัวที่ 2 หรือ 3 ของ galacturonic acid ที่สายหลัก
ปริมาณของเพกทินที่มีอยู่ในพืชผักผลไม้
บทบาทในเชิงสุขภาพ
ในปัจจุบันการใช้เส้นใยอาหาร (dietary fiber) เป็นอาหารเสริมสุขภาพมีมากขึ้นเรื่อยๆ เนื่องจากผู้บริโภคได้รับข้อมูลข่าวสารทั้งแง่วิชาการและสื่อโฆษณาเกี่ยวกับประโยชน์ในเชิงสุขภาพและการแพทย์ของเส้นใยอาหารเพิ่มมากขึ้น นอกจากเส้นใยอาหารจำพวกรำข้าวและเซลลูโลสแล้ว เพกทินก็จัดว่าเป็นเส้นใยอาหารชนิดที่ละลายน้ำได้แต่ไม่ถูกย่อยโดยเอนไซม์ในทางเดินอาหาร เพกทินเป็นส่วนประกอบหลักในเส้นใยอาหารที่ได้จากพืชและผลไม้ส่วนใหญ่ [1]
พืชสกุลส้มเป็นแหล่งที่มีเพกทินปริมาณมากซึ่งพบได้ทั้งในส่วนที่รับประทานได้และส่วนที่รับประทานไม่ได้ เช่น เปลือก กาก และแกน ในการศึกษาเกี่ยวกับเส้นใยอาหารที่ได้จากพืชสกุลส้มส่วนใหญ่มักใช้เพกทินบริสุทธิ์มากกว่าการใช้เปลือกหรือกากผลแห้ง อย่างไรก็ตามการบริโภคผลไม้จำพวกส้มช่วยเพิ่มปริมาณเพกทินในอาหารอย่างมีนัยสำคัญ แม้ว่าในปัจจุบันจะมีการผลิตเพกทินสกัดชนิดเข้มข้นที่ได้จากเปลือกส้มซึ่งเป็นผลพลอยได้จากอุตสาหกรรมผลิตน้ำผลไม้ก็ตาม
การนำเอาเพกทินผสมร่วมในสูตรอาหารมีผลต่อกระบวนการเมแทบอลิซึมและการย่อย เช่น ผลต่อการดูดซึมกลูโคส ผลต่อระดับคอเลสเตอรอล[5] [6] มีการศึกษาจำนวนมากทั้งในสัตว์ทดลองและในมนุษย์ที่แสดงถึงประสิทธิภาพของเพกทินที่รับประทานในการลดอัตราการใช้น้ำตาลและการผลิตอินซูลินในผู้ป่วยเบาหวานชนิดไม่พึ่งอินซูลิน (เบาหวานชนิดที่ 2) ซึ่งโดยปกติจะทำการรักษาโดยการควบคุมอาหารเป็นอันดับแรก นอกจากนั้นการนำเอาเพกทินผสมร่วมในสูตรอาหารยังสามารถลดระดับคอเลสเตอรอลได้ ทั้งนี้ขึ้นกับระดับคอเลสเตอรอลในเลือดที่เป็นอยู่เดิมและอาหารที่รับประทานเป็นประจำ นอกจากนั้นเพกทินยังมีผลยับยั้งการแพร่กระจายของเซลล์มะเร็งและมีผลต่อการควบคุมน้ำหนักตัวแต่ไม่มีผลรบกวนการดูดซึมแร่ธาตุในร่างกาย[6]
การใช้เพกทินในขนาดสูงอาจทำให้เกิดอาการไม่พึงประสงค์ซึ่งต้องให้ความสำคัญและศึกษาเพิ่มเติมต่อไป การใช้เพกทินเป็นสารสำคัญในตำรับยาเพื่อรักษาอาการท้องเสียโดยเพกทินช่วยกระตุ้นการเจริญของเนื้อเยื่อบุผิวในลำไส้ใหญ่หรือไปลดการยึดติดเยื่อบุผิวในลำไส้ใหญ่ของเชื้อจุลินทรีย์ก่อโรค การใช้เพกทินร่วมกับยาอื่นต้องระมัดระวังเนื่องจากเพกทินสามารถเกิดอันตรกิริยากับตัวยาโดยเฉพาะอย่างยิ่งยาที่มีประจุบวกหรือเพกทินอาจดูดซับตัวยาไว้ทำให้ตัวยาออกฤทธิ์ได้ไม่เต็มประสิทธิภาพ
การวิจัยเพกทินทางด้านเทคโนโลยีเภสัชกรรม
สำหรับการวิจัยเพกทินทางด้านเทคโนโลยีเภสัชกรรม (ดูรายละเอียดในเอกสารอ้างอิง[1]) สามารถใช้เพกทินในรูปแบบยาน้ำโดยใช้เพกทินผสมกับเกลือแคลเซียมรูปเชิงซ้อนซึ่งสามารถเกิดเป็นเจลของเพกทินกับเกลือแคลเซียมเมื่อตำรับยาอยู่ในทางเดินอาหาร (in-situ gelation) เพกทินสามารถใช้เป็นสารที่ทำให้อนุภาคจับกลุ่มกันอย่างหลวมๆ หรือเป็นสารช่วยแขวนตะกอนในตำรับยาน้ำแขวนตะกอนและเป็นสารก่ออิมัลชันโดยป้องกันการจับกลุ่มกันของวัฏภาคภายในของอิมัลชันได้ ส่วนการประยุกต์ใช้เพกทินในรูปแบบยาของแข็งอาจเตรียมเป็นรูปแบบที่ออกฤทธิ์ทันทีหรือออกฤทธิ์นาน การวิจัยและพัฒนารูปแบบยาที่ออกฤทธิ์ได้ทันทีโดยการใช้เพกทินเป็นสารเพิ่มปริมาณ สารช่วยแตกตัว สารยึดเกาะในเม็ดยา หรือสารก่อเพลเลต ส่วนในรูปแบบยาชนิดออกฤทธิ์นานสามารถใช้เพกทินเป็นสารก่อเมทริกซ์เพื่อควบคุมการปลดปล่อยให้ช้าลง หรือโดยการเตรียมเป็นเจลบีดโดยอาศัยการเกิดพันธะระหว่างเพกทินกับเกลือแคลเซียม หรือการเตรียมอนุภาคขนาดไมโครเมตรโดยใช้เพกทินร่วมกับพอลิเมอร์อื่นโดยวิธีการพ่นแห้งหรือวิธีโคแอเซอร์เวชันเชิงซ้อน การเตรียมเพลเลตเคลือบฟิล์มเพกทินโดยใช้เทคนิคการเกิดปฏิกิริยาเคมีที่ผิวของเพลเลตช่วยให้ได้ชั้นเคลือบที่มีความหนาสม่ำเสมอและมีสมบัติเชิงกลที่ดีขึ้น รวมถึงสามารถชะลอการปลดปล่อยตัวยาได้ดี สามารถประยุกต์ใช้ได้กับตัวยาที่มีขีดการละลายแตกต่างกันได้
เพกทินสามารถใช้ในระบบนำส่งยาชนิดติดอยู่ในกระเพาะอาหารเพื่อให้ระบบนำส่งยาลอยตัวได้ในกระเพาะอาหาร ระบบนำส่งนี้สามารถใช้ในกรณียาที่มีช่วงการดูดซึมในทางเดินอาหารแคบ ยาที่มีปัญหาเรื่องความคงตัวในลำไส้เล็ก หรือใช้เพื่อต้องการให้ยาออกฤทธิ์เฉพาะที่ในกระเพาะอาหาร เช่น กรณีต้องการกำจัดเชื้อ Helicobacter pylori ส่วนการนำส่งยาไปสู่ลำไส้ใหญ่สามารถใช้ได้ในกรณีที่ยาไม่คงตัวหรือไม่ถูกดูดซึมในทางเดินอาหารส่วนต้น ยาที่ใช้ในการรักษาพยาธิสภาพในลำไส้ใหญ่ หรือยาที่ต้องการให้ดูดซึมหรือออกฤทธิ์ช้า ระบบนำส่งยาสู่ลำไส้ใหญ่ต้องไม่ปลดปล่อยตัวยาออกมาในกระเพาะอาหารและลำไส้เล็ก และยอมให้ตัวยาปลดปล่อยออกมาเมื่อระบบนำส่งยาไปถึงบริเวณลำไส้ใหญ่ ซึ่งมีการนำเพกทินมาใช้ในการวิจัยและพัฒนาระบบนำส่งยาสู่ลำไส้ใหญ่ในรูปยาเม็ดเมทริกซ์ เจลบีด ยาเม็ดชนิดตอกเคลือบและยาเม็ดเคลือบฟิล์ม รวมถึงการใช้เพกทินเพื่อเตรียมเป็นบรรพเภสัชโดยต่อเชื่อมกับตัวยาเพื่อนำส่งยาไปสู่ลำไส้ใหญ่
ระบบนำส่งยาชนิดยึดติดเยื่อเมือกในทางเดินอาหารได้รับการพัฒนาเพื่อให้ยาอยู่ในทางเดินอาหารยาวขึ้นเพื่อเพิ่มความเข้มข้นของยาในบริเวณเฉพาะที่หรือเพิ่มการดูดซึมยาเข้าสู่กระแสเลือด โดยเพิ่มระยะเวลาการสัมผัสของระบบนำส่งยากับเนื้อเยื่อในทางเดินอาหารซึ่งต้องอาศัยสารที่มีสมบัติยึดติดเยื่อเมือก โดยเพกทินได้รับการวิจัยยืนยันว่ามีสมบัติการยึดติดเยื่อเมือกที่ดี มีการใช้เพกทินในระบบนำส่งยาชนิดยึดติดในช่องปากโดยทำในรูปยาเม็ดหรือแผ่นแปะหรือยึดติดในทางเดินอาหารเพื่อเพิ่มระดับยาในกระแสเลือด การศึกษาสมบัติการยึดติดเยื่อเมือกแบบภายนอกร่างกายพบว่าเพกทินมีสมบัติยึดติดเยื่อเมือกในลำไส้ใหญ่ได้ดีที่สุด ส่วนการยึดติดในกระพุ้งแก้มจะมีค่ามากเมื่อเพกทินอยู่ในสภาวะแห้ง รูปแบบยาที่เป็นสารประกอบเชิงซ้อนของเพกทินและลิโพโซมสามารถยึดติดเยื่อเมือกในลำไส้เล็กของหนูทดลองได้ดีที่สุด การศึกษาทางเภสัชวิทยาพบว่าระดับแคลเซียมในกระแสเลือดลดลงเมื่อให้สารประกอบเชิงซ้อนที่มียาแคลซิโทนินในหนูเมื่อเปรียบเทียบกับการให้แคลซิโทนินในรูปสารละลาย การเลือกชนิดของเพกทินที่เหมาะสมอาจช่วยให้รูปแบบยาสามารถยึดติดเยื่อเมือกในบริเวณที่ต้องการให้มีการดูดซึมยาได้
แนวทางการวิจัยเพกทินในอนาคต[1]
การนำเพกทินไปใช้ประโยชน์อาจใช้เพกทินที่มีจำหน่ายในเชิงพาณิชย์ที่ผลิตขึ้นเพื่อใช้ในอุตสาหกรรมอาหารหรือการพัฒนาเพกทินให้เป็นเกรดที่ใช้ได้ในอุตสาหกรรมยาและ/หรือการรักษา การสกัดและผลิตเพกทินจากมวลชีวภาพ (biomass) หรือของเหลือทิ้งจากอุตสาหกรรมการเกษตร (เช่น เปลือกส้ม เปลือกส้มโอ เปลือกกล้วย เปลือกและกากมะม่วง กากฟักทอง กากแอปเปิล เป็นต้น) รวมถึงการย่อยเพกทินให้ได้เป็นเพคติกโอลิโกแซคคาไรด์นับเป็นประเด็นที่น่าสนใจในการศึกษาวิจัยซึ่งช่วยเพิ่มอรรถประโยชน์ของสารในกลุ่มเพกทินนี้ด้วย อย่างไรก็ตามหากมีการดัดแปรโครงสร้างของเพกทินควรทำการทดสอบความเป็นพิษเพื่อให้แน่ใจว่ามีความปลอดภัยเพียงพอก่อนนำไปใช้ รวมถึงการทดสอบฤทธิ์ทางชีวภาพด้วย
การวิจัยเพกทินบางประเด็นควรมีการศึกษาเพิ่มเติมเพื่อนำไปใช้ประโยชน์ในทางการแพทย์หรือเพื่อสุขภาวะที่ดีของผู้บริโภค เช่น ฤทธิ์ในการยับยั้งการเกาะติดของเชื้อจุลินทรีย์ในลำไส้ (เพื่อใช้รักษาอาการท้องเสียจากอาหารเป็นพิษ) ฤทธิ์ในการช่วยลดระดับคอเลสเตอรอลในเลือด ฤทธิ์ต้านการก่อกลายพันธุ์ ฤทธิ์ในการยับยั้งการแพร่กระจายของมะเร็งบางชนิด รวมถึงการใช้ประโยชน์เป็นพรีไบโอติก (prebiotics) เพื่อช่วยส่งเสริมการเจริญเติบโตของเชื้อจุลินทรีย์ในลำไส้ใหญ่ทีมีประโยชน์ เป็นต้น ซึ่งข้อมูลที่ได้จากการศึกษาเหล่านี้อาจนำไปสู่การประยุกต์ใช้ประโยชน์ในด้านการแพทย์ต่อไป
ข้อมูลจากงานวิจัยเกี่ยวกับเพกทินช่วยยืนยันว่าเพกทินมีประโยชน์ทั้งในเชิงสุขภาพ การแพทย์และเภสัชกรรม นอกจากนั้นยังมีประโยชน์ในการใช้เพื่อเตรียมตำรับยาและการออกแบบระบบนำส่งยารูปแบบต่างๆ ทั้งชนิดออกฤทธิ์ทันที ชนิดออกฤทธิ์นาน และชนิดไปสู่เป้าหมายเฉพาะที่ในทางเดินอาหาร ซึ่งการออกแบบระบบนำส่งยาสามารถปรับให้เหมาะสมได้โดยการเลือกใช้ชนิดเพกทิน สภาวะในการเกิดเจล สารช่วยอื่นในตำรับและ/หรือสารเคลือบที่เหมาะสมเพื่อให้ได้ระบบนำส่งยาตามต้องการ ในปัจจุบันงานวิจัยและพัฒนาเกี่ยวกับการหาแหล่งของเพกทินจากธรรมชาติ การพัฒนาวิธีการผลิต การศึกษาฤทธิ์ทางชีวภาพ และการพัฒนารูปแบบและระบบนำส่งยาที่ใช้ เพกทินกำลังดำเนินไปอย่างต่อเนื่องจึงคาดว่าจะมีนวัตกรรมใหม่ๆ รวมถึงการประยุกต์ใช้ใหม่ๆ ในอนาคต
อ้างอิง
แหล่งข้อมูลอื่น
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
หมวดหมู่:คาร์โบไฮเดรต
หมวดหมู่:สารอาหาร
หมวดหมู่:ชีววิทยาของเซลล์
หมวดหมู่:พอลิแซ็กคาไรด์
หมวดหมู่:วัตถุเจือปนอาหาร
| https://th.wikipedia.org/wiki/%E0%B9%80%E0%B8%9E%E0%B8%81%E0%B8%97%E0%B8%B4%E0%B8%99 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
220,
315,
421,
537,
982,
1271,
2162,
5602,
6608,
7090,
7423,
7448,
7896,
7924,
8108,
8164,
8276,
8335,
8513,
8563,
8664,
8745,
8779,
8893,
8921,
9084,
9115,
9299,
9469,
9563,
9880,
9905,
10218,
10305,
10381,
10409,
10698,
10785,
10825,
11011,
11039,
11193,
11221,
11312,
11340,
11428,
11512,
11531,
11865,
12567,
12598,
13058,
13347,
13505,
13991,
15117,
15261,
15421,
15498,
16073
],
"plaintext_end_byte": [
219,
314,
420,
529,
981,
1270,
2104,
5588,
6597,
7079,
7411,
7447,
7895,
7923,
8107,
8163,
8275,
8334,
8512,
8562,
8663,
8744,
8778,
8880,
8920,
9083,
9114,
9298,
9468,
9562,
9866,
9904,
10217,
10304,
10380,
10408,
10697,
10784,
10824,
10998,
11038,
11192,
11220,
11311,
11339,
11427,
11511,
11530,
11851,
12450,
12586,
13057,
13346,
13504,
13947,
15106,
15260,
15401,
15497,
16059,
16491
]
} | 『人間・失格〜たとえばぼくが死んだら』は太宰治の人間失格のパロディ? | ふぞろいの林檎たち | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
『ふぞろいの林檎たち』(ふぞろいのりんごたち)は、TBS系列の「金曜ドラマ」枠(毎週金曜日22:00 - 22:54)で放送された日本のテレビドラマ。主演は中井貴一。
1983年から1997年にかけて放送された。パートIVまでシリーズ化された。
山田太一原作・脚本。主題歌はサザンオールスターズの「いとしのエリー」。
「ふぞろいの林檎」は規格に当てはまらない落ちこぼれの登場人物たちを指す。
概要
とある架空の四流大学を舞台に、学歴が恋愛や進路に暗い影を落としながらも、それを懸命に乗り越えようとする若者の姿を描いた作品。『男女7人夏物語』など、後に続く群像劇のさきがけでもあった。放映当時に問題となっていた学歴差別を背景にして作られた。パートII以降は、個々の登場人物の成長に重点が置かれている。
脚本家・山田太一の代表作のひとつで、白黒の風景をバックに林檎を放り投げるオープニング映像は、パロディ作品も数多く作られている。また、白黒の風景は新宿副都心を中野駅の屋上から撮影したものである。
パートI
1983年5月27日から7月29日まで放送。全10回、平均視聴率17.6%。
落ちこぼれ大学生3人の青春を描く。
パートII
1985年3月15日から6月7日まで放送。全13回、平均視聴率18.0%。
林檎たちが学校を出て社会人になる。
パートIII
1991年1月11日から3月22日まで放送。全11回。
晴江とその夫である門脇のトラブルがきっかけで、疎遠になっていた仲間たちが再び集まる。
それぞれ30歳を目前にし、家庭や仕事で様々な問題を抱えるなか、大人として逞しく生きていく姿を描く。
パートIV
1997年4月11日から7月4日まで放送。全13回、平均視聴率17.4%。
克彦と美保という若者に出会ったことで、30代半ばとなった仲間たちがまた集まる。
登場人物
シリーズ共通キャスト
主要人物
仲手川 良雄
演 - 中井貴一
生真面目で不器用な青年。奔放な晴江や訳ありの夏恵に翻弄されながらも、こだわりを捨てきれない。メンバーの中では最も大人びているが、とにかく気が弱く人に優しすぎる。東京大学近くの酒屋「仲屋商店」の次男坊で、自宅から四流大学と言われる国際工業大学に通う。家では仲の悪い母と義姉の板挟みに遭うことも。大学卒業後は運送会社に就職し、一人暮らしを始める。長らく晴江との腐れ縁が続きつつも独身生活を続けた後、パートIVでは相崎江里と婚約する。
岩田 健一
演 - 時任三郎
良雄の仲間。メンバーの中では女性にモテやすく最も大人びているように見えるが、実は3人の中で活発で最もケンカ早い。実は京都の名家の息子だが、京都大学卒の兄、同志社大学に在学する妹に挟まれ、学歴にコンプレックスを抱いている。国際工業大学卒業後は工作機器を扱う下請け商社に就職、結婚し子供も儲けるが、のちに離婚した。
水野 陽子
演 - 手塚理美
岩田たちが大学時代に立ち上げたサークルに参加した看護学生で、岩田と付き合うようになる。しっかり者で常識を重んじる慎重派。それ故、恋愛が長続きせず、IV時点で未だ独身でいる。パートIIでは看護師、IIIでは主任、IVでは師長と着実に看護師の道を歩む。
宮本(門脇) 晴江
演 - 石原真理子
陽子の親友で同門。良雄と付き合うようになる。陽子とは対称的で奔放な性格。パートIIでは突然看護師をやめ、職を転々とする。パートⅢでは門脇と結婚し、玉の輿に乗るが結婚生活はうまくいかず、良雄と再度恋愛関係に。のちにアメリカのロサンゼルスに移住する。
西寺 実
演 - 柳沢慎吾
良雄の仲間。ラーメン屋「金華」の一人息子。お調子者で女好きの典型的な三枚目。メンバーのムードメーカーでありトラブルメーカーでもある。根は悪くないが見栄っ張りで小心者なため、いつも虚勢を張っている。国際工業大学卒業後は、岩田と同じ商社に勤めるが、途中で脱サラし、「金華」の主人となる。サークル活動で知り合った綾子とのちに結婚、男児を儲ける。
谷本(西寺) 綾子
演 - 中島唱子
岩田たちが立ち上げたサークルに参加した女子大生。一流女子大学である東洋女子大学に通う。人より容姿が劣っていることにコンプレックスを抱いている。当初は良雄に想いを寄せるが、のちに実と結婚。
伊吹(本田) 夏恵
演 - 高橋ひとみ
学生時代に良雄が偶然立ち寄った風俗店で働いていた女性。才色兼備だが、時折大胆な行動に出ることもあり、修一のことで自殺未遂を起こしたりする。東京外国語大学出身。
本田 修一
演 - 国広富之
夏恵の恋人。東京大学卒業のエリートだが、人間関係に難があり無職。かなり冷めた性格で他人とのコミュニケーションが苦手。しかし、それも良雄たちと出会ったことによって徐々に氷解していく。
仲手川家
仲手川 耕一
演 - 小林薫(パートIIまで)→水澤心吾(パートIIIのみの出演)
良雄の兄。良雄と同じく寡黙で生真面目で不器用。病弱な妻・幸子と幸子を疎んじる母親・愛子の板ばさみになりながらも「仲屋商店」を切り盛りしている。
余り口には出さないが心底、幸子を愛している。パートIVでは若くして病死したことになっている。
仲手川 幸子
演 - 根岸季衣
耕一の妻。優しい性格の女性で夫とは相思相愛だが、心臓病を患うなど病弱で子供に恵まれないため、義母の愛子からは疎まれていたが、後に娘・紀子が誕生する。
仲手川 愛子
演 - 佐々木すみ江
耕一・良雄の母。長男の跡取りができないことが不満で嫁の幸子につらくあたる。また、嫌な事があるとすぐ泣いてしまう。
パートⅣでは病に冒され、車椅子生活となっている。
西寺家
西寺 知子
演 - 吉行和子
実の母。泰治と実の喧嘩で板挟みになりながらも、懸命にラーメン屋「金華」を切り盛りしている。おっとりした性格だが、肝っ玉が座った明るい女性。夫・泰治が頑固で横暴な性格のため実をかばい、かなり甘やかしている。泰治の死後は失意の日々を送り毎日泣いていたが、平野と出会い、再び「金華」を切り盛りする。
その他
佐竹 順治
演 - 水上功治
良雄たちの大学の後輩。金持ちの御曹司で素行が悪く、良雄たちを目の敵にしている。大学卒業後は親の会社の重役となり、学生時代にいじめていた実を自分の会社の営業部長として迎える。パートIIIまでの登場。
パートI
西寺泰治 - 石井均
実の父。ラーメン屋「金華」の店主。典型的な職人気質でラーメン作りに命を注いでいる。悪い人間ではないが、横暴で頑固者。ちゃらんぽらんな実とは折り合いが悪くいつも喧嘩し、その鉾先が妻の知子に向けられたり、客がいない店先で暴れることもある。パートIIの第1回で急逝し、死ぬまで実と分かり合えることはなかった。
岩田邦行 - 北村和夫
健一の父。四流大学に在学する健一を忌み嫌っていたが、一流会社に就職する話を聞くと手の平を返したような態度をとるようになる。
岩田喜代 - 荒木道子
土屋部長 - 中野誠也
大企業「三友商事」の部長。健一を会社に入社させようとするも、後に失脚する。
橋本社長 - 河原崎次郎
島脇邦子 - 千野弘美
愛子が幸子を追い出すために雇った家政婦。良雄に対して家政婦はやめないと宣言するも、耕一の気持ちを知り、家政婦を辞める。
学生課 - 津村隆
人事課員 - 角野卓造
※テロップでは<b data-parsoid='{"dsr":[4981,4991,3,3]}'>角野卓三</b>になっている。
佐竹順治の仲間 - 谷村好一 、布施博
落合警備士 - 高野真二
健一のバイト先の先輩。
過激派 - 小林朝夫
「金華」の客 - 松田章生
パーティーの司会 - 井手ひろし
パートII
平野周吉 - 小林稔侍
実の実家の「金華」で働くことになり、当初は知子との関係を疑った実だったが、のちに平野の人柄に惚れ、和解した。
相馬課長 - 室田日出男
仲手川の就職した運送会社の上司。がさつで無神経であり、本人に悪気はないのだが仲手川や晴江をいじめ倒す。最終回で晴江と和解。
正宮課長 - 岡本信人
大和田社長 - 近藤準
浜野部長 - 石田弦太郎
研修指導官 - 小野武彦
佐竹順治の仲間 - 谷村好一、我王銀次
佐竹が親の会社を継ぐということで、ブレーンとして入れてもらう。
大里華江 - 畠山明子
日の出食堂の老夫婦 - 原ひさ子、和沢昌治
西岡 - 名和宏
八木 - 保積ぺぺ
賀茂 - 千代田進一
クラブの支配人 - 山本コウタロー
佐竹工業の女性社員 - 片桐はいり
ロックバンド - C-C-B(関口誠人、渡辺英樹)
パートIII
門脇幹一 - 柄本明
晴江の夫。性格の歪んだ大富豪で、部下を使って晴江を必要以上に束縛し、問題は全て金で解決しようとする。最終回で良雄たちと自分にはないものがあると分かり和解し、晴江にも今までの事を詫び、晴江の幸せを願い離婚した。
大里華江 - 畠山明子
松村姫 - 裕木奈江
屈強な男 - キラー・カン
門脇の部下。晴江を拘束しておくために雇われている。
屈強な女 - 大島蓉子
門脇の部下。晴江の動向監視のために雇われている。ある日、姿を消した晴江を探し仲谷商店を訪れるが、家を守るために結束する愛子と幸子の様子を見て、姑との仲が上手く行かなかった過去を吐露し店を去る。
マスター - 中丸新将
中村由子 - 大西智子
岩田百合江 - 門田圭子
健一の妻。のちに離婚した。
丸山慎太郎 - 瀬戸陽一朗
大和田社長 - 近藤準
浜野部長 - 石田太郎
荒井課長 - 渡辺哲
木村課長 - 角間進
重役 - 久米明、今福将雄
パートIV
桐生克彦 - 長瀬智也
仲手川とはある事件がきっかけで知り合う。いわば平成の「ふぞろいの林檎」世代。次第に、美保と惹かれあう。
遠山美保 - 中谷美紀
克彦とはひょんな事から知り合い、仲手川とも関わっていく事に。
相崎江里 - 洞口依子
岩田のライバル会社の社員だったが、物語終盤に仲手川と婚約。
佐藤晋介 - 北見敏之
遠山隆夫 - 中山仁
仲手川紀子 - 児玉真菜
仲手川の姪。
西寺哲夫 - 篠崎杏兵
西寺香織 - 三村有己
飯坂宮子 - 山岸里紗
本田達也 - 松崎駿司
桜井竜三郎 - 松澤一之
川島秀次 - 横田進
服部潔 - 矢崎滋
服部栄子 - 神保共子
田坂部長 - 草野裕
栗田弁護士 - 土師孝也
大瀬五郎 - 片岡五郎
警官 - 斉藤暁
スタッフ
シリーズ共通
原作 - 山田太一
脚本 - 山田太一
主題歌 - サザンオールスターズ「いとしのエリー」
製作著作 - TBS
パートI
演出 - 鴨下信一、井下靖央
プロデューサー - 大山勝美、片島謙二
パートII
演出 - 井下靖央、大山勝美、赤地偉史、鴨下信一
プロデューサー - 片島謙二
パートIII
演出 - 鴨下信一、大山勝美、高橋一郎
プロデューサー - 大山勝美
パートIV
演出 - 井下靖央、加藤浩丈、北川雅一
プロデューサー - 大山勝美、北川雅一
放送日程
パートI(1983年)
パートII(1985年)
パートIII(1991年)
パートIV(1997年)
第1話は114分。
その他
通常テレビドラマでは、オープニングもしくはエンディングのキャスティングクレジットに於いて、主役級の俳優は単独または二人分で、脇役はまとめて表示されることが多いが、このドラマでは主役級でも3人・4人まとめてクレジットされている。また、放送時間と編集時間の関係でパートI - IIIでは、次回予告が省略される回も多かった。
主題歌はサザンオールスターズの「いとしのエリー」であるが、挿入歌にも「栞のテーマ」、「Bye Bye My Love (U are the one)」、「Ya Ya (あの時代を忘れない)」など、サザンオールスターズの曲の数々が採用されている。
脚本家・山田太一とプロデューサー・大山勝美は1986年の千葉真一主演『深夜にようこそ』でも再びコンビを組んだ。
パートI撮影前に共通キャストの8人が初顔合わせを兼ねて合同合宿を行い、お互いに初対面だったためにその時はまだ馴染めなかったそうだが、旅館内で高橋ひとみが突然枕投げを始めた事からキャスト同士の緊張感がほぐれてその後はドラマ内の役柄のように公私共に仲良くなったと手塚理美が度々TV出演時などで語っている。
番組へのオマージュ・パロディ
テレビ朝日系のクレヨンしんちゃんの「テレビドラマのロケ隊が来たゾ」の回で【ふぞろいのナスビたち(漫画ではふぞろいの蛇苺たち)】でパロディされた。春日部の公園でロケされていたが、しんのすけとシロの乱入やドラマの出演者及び撮影クルー同士の喧嘩の原因で撮影の収録は中止、同時にドラマの放送も打ち切りに終わった。
フジテレビ系の『ウッチャンナンチャンのやるならやらねば!』では、パロディ『ふぞろいの林檎たちに愛を込めて』が放送されていた。
2009年に放送された片岡物産『モンカフェ』のテレビコマーシャルでは、このドラマの映像を使用し、中井と仲手川良雄が会話をするという映像が4パターン製作された。
2011年1月から2011年4月にモバゲータウンのTVCM「いい大人のモバゲー」編に中井貴一、時任三郎、柳沢慎吾が出演。時任、柳沢の役名の姓は『ふぞろい』と同じ(下の名前は異なる)。
漫画版
1986年にわたべ淳による作画の漫画版が、書き下ろしでヤングジャンプコミックスより発行された。全1巻。
『ふぞろいの林檎たち (ヤングジャンプコミックス) 』画:わたべ 淳、集英社、1986年7月、ISBN 978-4088610283
VHSビデオ・DVD
2002年に、パートI・パートIIがVHS、DVDで販売されている。
ふぞろいの林檎たち 5巻セット(VHS)、発売元:TBS、販売元:アミューズ・ビデオ、発売日:2002年2月22日
ふぞろいの林檎たち DVD-BOX 5巻セット、発売元:TBS、販売元:アミューズ・ビデオ、発売日:2002年2月22日
ふぞろいの林檎たちII 5巻セット(VHS)、発売元:TBS、販売元:アミューズ・ビデオ、発売日:2002年8月23日
ふぞろいの林檎たちII DVD-BOX 5巻セット、発売元:TBS、販売元:アミューズ・ビデオ、発売日:2002年8月23日
参考文献
ふぞろいの林檎たち(1) - ドラマ詳細データ - ◇テレビドラマデータベース[2]
ふぞろいの林檎たちII - ドラマ詳細データ - ◇テレビドラマデータベース◇[3]
ふぞろいの林檎たちIII - ドラマ詳細データ - ◇テレビドラマデータベース◇[4]
ふぞろいの林檎たちIV - ドラマ詳細データ - ◇テレビドラマデータベース◇[5]
脚注
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E3%81%B5%E3%81%9E%E3%82%8D%E3%81%84%E3%81%AE%E6%9E%97%E6%AA%8E%E3%81%9F%E3%81%A1 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1004,
2790,
3893,
4416,
4609,
5207,
5371,
5949,
6154,
7605,
8156,
8422,
9070,
10184,
11186,
11466,
11810,
12107,
12520,
12801,
13271,
13568,
14027,
14313,
14668,
14940,
15155,
15447,
15730,
16040,
16421,
16692,
16990,
17290,
17696,
17986,
18351,
18636,
19041,
19319,
19761,
20068,
20540,
20848,
21328,
21647,
22049,
22364,
22690,
23014,
23336,
23651,
24045,
24329,
24822,
25089,
25612,
25902,
26313,
26600,
26950,
27242,
27656,
27950,
28311,
28639,
28952,
29272,
29581,
29873,
30215,
30496,
31075,
31357,
31835,
32135,
32540,
32835,
33274,
33570,
33959,
34282,
34700,
34987,
35417,
35702,
36159,
36438,
36927,
37213,
37583,
37897,
38312,
38576,
38976,
39250,
39486,
39775,
40204,
40479,
40851,
41119,
41500,
41785,
42141,
42433,
42851,
43072,
43419,
43713,
44280,
44567,
44826,
45154,
45585,
45880,
46274,
46555,
46889,
47187,
47410,
47727,
48065,
48333,
48692,
48979,
49424,
49742,
50079,
50360,
50762,
51061,
51472,
51759,
52017,
52331,
52697,
53033,
53577,
53867,
54188,
54498,
54910,
55199,
55542,
55780,
56152,
56444,
56778,
57086,
57718,
57997,
58264,
58579,
59049,
59340,
59698,
59977,
60402,
60685,
61135,
61420,
61778,
62042,
62494,
62791,
63266,
63554,
63922,
64209,
64731,
65018,
65382,
65672,
65985,
66291,
66778,
67064,
67411,
67676,
68010,
68317,
68662,
68962,
69354,
69628,
69991,
70686,
70980,
71430,
71758,
72246,
72568,
72927,
73242,
73626,
74283,
74608,
74991,
75294,
75669,
75987,
76444,
76758,
77225,
77496,
78054
],
"plaintext_end_byte": [
1003,
2773,
3892,
4415,
4608,
5206,
5370,
5948,
6099,
7604,
8155,
8421,
9069,
10096,
11126,
11465,
11808,
12106,
12518,
12800,
13269,
13567,
14025,
14312,
14666,
14939,
15153,
15446,
15728,
16039,
16419,
16691,
16988,
17289,
17694,
17985,
18349,
18635,
19039,
19318,
19759,
20067,
20538,
20847,
21326,
21646,
22047,
22363,
22688,
23013,
23334,
23650,
24043,
24328,
24820,
25088,
25610,
25901,
26311,
26599,
26948,
27241,
27654,
27949,
28309,
28638,
28950,
29271,
29579,
29872,
30213,
30495,
31073,
31356,
31833,
32134,
32538,
32834,
33272,
33569,
33957,
34281,
34698,
34986,
35415,
35701,
36157,
36437,
36925,
37212,
37581,
37896,
38310,
38575,
38974,
39249,
39484,
39774,
40202,
40478,
40849,
41118,
41498,
41784,
42139,
42432,
42850,
43071,
43417,
43712,
44278,
44566,
44824,
45153,
45583,
45879,
46272,
46554,
46887,
47186,
47408,
47726,
48063,
48332,
48690,
48978,
49422,
49741,
50077,
50359,
50760,
51060,
51470,
51758,
52015,
52330,
52695,
53032,
53575,
53866,
54186,
54497,
54908,
55198,
55480,
55779,
56150,
56443,
56776,
57085,
57716,
57996,
58262,
58578,
59047,
59339,
59696,
59976,
60400,
60684,
61133,
61419,
61776,
62041,
62492,
62790,
63264,
63553,
63920,
64208,
64729,
65017,
65380,
65671,
65983,
66290,
66776,
67063,
67409,
67675,
68008,
68316,
68660,
68961,
69352,
69627,
69989,
70684,
70979,
71428,
71757,
72244,
72567,
72925,
73241,
73624,
74281,
74607,
74989,
75293,
75667,
75986,
76442,
76757,
77223,
77495,
77955,
78089
]
} | సుమతీ శతకము రచించిన కవి పేరేమిటి? | సుమతీ శతకము | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
279
],
"minimal_answers_end_byte": [
297
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
తెలుగు సాహిత్యంలో శతకాలకు ఒక ప్రత్యేక స్థానము ఉంది. బహుజన ప్రియమైన శతాకాలలో సుమతీ శతకం (sumathi Satakam) ఒకటి. ఇది బద్దెన అనే కవి రచించాడని అంటారు. సరళమైన చిన్న పద్యాలలో చెప్పబడిన నీతులు తెలుగు జీవితంలోనూ, భాషలోనూ భాగాలైపోయాయి. "అప్పిచ్చువాడు వైద్యుడు", "తన కోపమె తన శత్రువు" వంటి పద్యలు తెలియని తెలుగువారు అరుదు. ఈ శతకంలోని ఎన్నో పద్యభాగాలను సామెతలు లేదా జాతీయములుగా పరిగణించ వచ్చును.
శతకము (Satakamu) అనగా వంద. శతక సాహితీ ప్రక్రియలో ఒకటే ముకుటము గల పద్యాలు కనీసం వంద వ్రాస్తారు. శతకములో ప్రతి పద్యానికీ చివరలో ఒక పదము గానీ, పదాలుగానీ, పూర్తి చరణము గానీ ఉండటం ఆనవాయితీ. ఇది ఆ రచయిత సంతకం లాంటిది. దీనిని ముకుటము అంటారు. ఉదాహరణకు విశ్వదాభిరామ వినురవేమ అనునది వేమన శతకమునకు ముకుటము, అలాగే సుమతీ అనునది సుమతీ శతకము</b>నకు ముకుటము, అలాగే వెంకటేశ్వరా, దాశరదీ అనునవి ఇతర ఉదాహరణములు. సాధారణంగా ఇతర కావ్య, సాహిత్య ప్రక్రియలు పండితులకు పరిమితమైనాగాని, శతకాలు మాత్రం సామాన్య ప్రజానీకంలో ఆదరణపొందినవి. ఇలా తెలుగులో శతక సాహిత్యము పామరులకూ పండితులకూ వారధిగా నిలిచింది. వీటిలో వేమన శతకానికీ, సుమతీ శతకానికీ ఉన్న ప్రాచుర్యము అత్యధికం. సుమతీ శతకం 108 నీతి పద్యాల సమాహారం.
రచయిత
సుమతీ శతకం వ్రాసినదెవరో కచ్చితమైన సమాచారం లభించడంలేదు. పలు రచనల్లో "సుమతీ శతక కర్త" అని ఈ రచయితను ప్రస్తావించడం జరుగుతుంది. క్రీ.శ. 1220-1280 మధ్య కాలంలో బద్దెన లేదా భద్ర భూపాలుడు అనే కవి సుమతీ శతకం రచించాడని సాహితీ చరిత్రకారుల అభిప్రాయం. ఇతడు కాకతీయ రాణి రుద్రమదేవి (1262-1296) రాజ్యంలో ఒక చోళ సామంత రాజు. ఈ రచయితే రాజనీతికి సంబంధించిన సూక్తులతో నీతిశాస్త్ర ముక్తావళి అనే గ్రంథాన్ని వ్రాశాడు. ఇతడు మహాకవి తిక్కనకు శిష్యుడు.
సుమతీ శతకాన్ని బద్దెనయే రచించినట్లయితే తెలుగు భాషలో వచ్చిన మొదటి శతకాలలో అది ఒకటి అవుతుంది. (పాలకురికి సోమనాధుని వృషాధిప శతకము, యాతావక్కుల అన్నమయ్య సర్వేశ్వర శతకము వచ్చిన కాలంలోనిదే అవుతుంది.)
సుమతీ శతకమందు కొన్ని పద్యములు సంస్కృత శ్లోకముల కాంధ్రీకరణములు. ఉదాహరణ:
శ్లో: కార్యేషుదాసీ కరణేషు మంత్రీ
రూపేచలక్ష్మీ క్షమయా ధరిత్రీ
భోజ్యేషు మాతా శయనేషు రంభా
షడ్ధర్మయుక్తా కులధర్మపత్నీ
పని సేయునెడల దాసియు
ననుభవమున రంభ మంత్రి యాలోచనలన్
దనభుక్తియెడల దల్లియు
నన దనకుల కాంత యుండ నగురా సుమతీ.
అదే విధంగా భర్తృహరి శ్లోకములకు భాషాంతీకరణములు కూడా ఉన్నాయి.
పాలను గలసిన జలమును
బాలవిధంబుననె యుండు బరికింపంగా,
బాలచవి జెరుచు, గావున
తాలసుడగువానిపొందు వలదుర సుమతీ...!
పెట్టిన దినముల లోపల
నట్టడవులకైన వచ్చు నానార్థములున్
బెట్టని దినముల గనకపు
గట్టెక్కిన నేమి లేదు గదరా సుమతీ.
1840లో సి.పి.బ్రౌన్ సుమతీ శతకాన్ని ఆంగ్లంలోకి అనువదించాడు.
సుమతీ శతకం విశిష్టత
శతాబ్దాలుగా సుమతీ శతకం పద్యాలు పండితుల, పామరుల నోళ్ళలో నానుతున్నాయి. సుమతీ శతకం పద్యాలలోని పాదాలు చాలా తేలికగా గుర్తుంటాయి. అనేక సందర్భాలలో ఇందులోని పదాలను ఉదహరించడం జరుగుతాయి. సుమారు ఏడు వందల ఏళ్ళ క్రితం వ్రాయబడినా దాదాపు అన్ని పదాలూ ఇప్పటి భాషలోనూ వాడుకలో ఉన్నాయి. ఇది పాతకాలం కవిత్వమని అసలు అనిపించదు. పండితులకు మాత్రమయ్యే పరిమితమైన భాష కాదు. పెద్దగా కష్ట పడకుండానే గుర్తు పెట్టుకొనే శక్తి ఈ పద్యాలలోని పదాలలోనూ, వాటిని కూర్చిన శైలిలోనూ అంతర్లీనమై ఉంది. అందుకే చదవడం రానివాళ్ళు కూడా సుమతీ శతకంలోని పద్యాలను ధారాళంగా ఉదహరించగలిగారు.
సుమతి శతకమున పద్యములన్నియు అ కారాది క్రమమున ఉన్నాయి. ఈ విధానానికి సుమతి శతక కర్థ బద్దెన యే ప్రారంబకుడు. ఇతనిననుసరించి ఆ తర్వాతి కాలములలో భాస్కర శతకము, వేణుగోపాల శతక కర్థలు కూడా సుమతి శతకాన్ని అనుసరించారు.
పూర్తి పద్యం రానివారు కూడా ఒకటి రెండు పాదాలను ఉట్టంకించడం తరచు జరుగుతుంది. ఇందుకు కొన్ని ఉదాహరణలు
అక్కరకు రాని చుట్టము
అప్పిచ్చువాడు వైద్యుడు
ఇత్తడి బంగారమగునె
తను వలచినదియె రంభ
ఖలునకు నిలువెల్లవిషము
బలవంతమైన సర్పము చలిచీమల చేత చిక్కి చావదె సుమతీ
కనకపు సింహాసనమున శునకము కూర్చుండ బెట్టి
ఎప్పుడు సంపదలు గలిగిన నప్పుడు బంధువులు వత్తురు
తరతరాలుగా తల్లిదండ్రులు తమ పిల్లలకూ, పంతుళ్ళు తమ శిష్యులకూ సుమతీ శతకంలోని నీతులను ఉపదేశిస్తున్నారు. 700 సంవత్సరాల తరువాత కూడా ఇందులోని సూక్తులు నిత్య జీవనానికి సంపూర్ణంగా వర్తిస్తాయి. చెప్పదలచిన విషయాన్ని సూటిగా, కొద్ది పదాలలో చెప్పిన విధానం అత్యద్భుతం. మొదటి పద్యంలోనే కవి "ధారాళమైన నీతులు నోరూరగ జవులుపుట్ట, ఔరా యనగా, నుడివెద"నని చెప్పుకున్నాడు. ఇందుకు పూర్తి న్యాయం చేయగలిగాడు.
కొన్ని అధిక్షేపింపదగిన విషయాలు
ఇప్పటి "సామాజి సృహ" పరంగా ఉన్న అవగాహనతో చూస్తే కొన్ని పద్యాలలో కనిపించే ఆనాటి దృష్టి అసంబద్ధంగా కనిపిస్తుంది. "నమ్మకుమీ వామ హస్తుని"). ముఖ్యంగా స్త్రీల పట్ల, కొన్ని కులాల పట్ల వ్యక్తమైన అభిప్రాయాలు దురాచారాలుగా అనిపిస్తాయి. ("కోమలి నిజము, గొల్ల ని సాహిత్య విద్య" ఉండవని కవి వ్రాశాడు). ఎవరైనా తమ కాలానికి సంబంధించిన అభిప్రాయాలకు బందీలే అని మనం గ్రహించాలి.
పద్యాలు, తాత్పర్యాలు
స్త్రీల ఎడ వాదులాడక
బాలురతో జెలిమిచేసి భాషింపకుమీ
మేలైన గుణము విడువకు
ఏలిన పతి నిందసేయ కెన్నడు సుమతీ!
తాత్పర్యం: స్త్రీలతో ఎప్పుడూ గొడవపడద్దు. చిన్నపిల్లలతో స్నేహం చేసి మాట్లాడవద్దు. మంచి గుణాలను వదలవద్దు. యజమానిని దూషించవద్దు.
సిరి దా వచ్చిన వచ్చును
సలలితముగ నారికేళ సలిలము భంగిన్
సిరి దాఁ బోయిన బోవును
కరిమింగిన వెలగపండు కరణిని సుమతీ!
తాత్పర్యం: సంపద వచ్చినప్పుడు కొబ్బరికాయలోకి నీరు వచ్చిన విధంగా రమ్యంగానే ఉంటుంది. అలాగే పోయినప్పుడు ఏనుగు మింగిన వెలగపండులో గుంజు మాయమైనట్లే పోతుంది.
మేలెంచని మాలిన్యుని
మాలను నగసాలివాని మంగలి హితుగా
నేలిన నరపతి రాజ్యము
నేలఁగలసిపోవుగాని నెగడదు సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఉపకారాన్ని గుర్తుంచుకోని దుర్మార్గుడ్ని, పంచముని, కంసాలివానిని, మంగలిని హితలుగా చేసుకొని పాలించే రాజు రాజ్యము మట్టిలో కలిసి నాశనం అవుతుంది కానీ కీర్తిని పొందదు.
సరసము విరసము కొరకే
పరిపూర్ణ సుఖంబు అధిక బాధల కొరకే
పెరుగుట విరుగుట కొరకే
ధర తగ్గుట హెచ్చుకొరకే తధ్యము సుమతీ!
తాత్పర్యం: హాస్యపు మాటలు విరోధము కొరకే. సంపూర్ణ సౌఖ్యాలు విస్తారమైన బాధల కోసమే. పొడవుగా ఎదుగుట విరిగిపోవడానికే. ధరవరలు తగ్గడం మళ్లీ పెరగడానికే అని మనుషులు తెలుసుకోవాలి.
శుభముల నొందని చదువును
అభినయమున రాగరసము నందని పాటల్
గుభగుభలు లేని కూటమి
సభమెచ్చని మాటలెల్లఁ జప్పన సుమతీ!
తాత్పర్యం: శుభాలు పొందని విద్య, నటన, సంగీత, సామరస్యంతో కూడిన పాటలు, సందడి లేని కలయిక, సభల్లో మెప్పు పొందని మాటలు రుచించవు. చప్పనయినవి.
వేసరవు జాతి కానీ
వీసముఁ దాజేయనట్టి వ్యర్థుడు గానీ
దాసి కొడుకైన గాని
కాసులు గలవాఁడే రాజు గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: నీచ జాతివాడైనా, నిష్ప్రయోజకుడైనా, దాసీ పుత్రుడైనా ధనం కలవాడే అధిపతి
వెలయాలు సేయు బాసలు
వెలయఁగ నగపాలి పొందు, వెలమల చెలిమిన్
గలలోఁన గన్న కలిమియు,
విలసితముగ నమ్మరాదు వినరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: వేశ్య ప్రమాణాలు, విశ్వబ్రాహ్మణుని స్నేహం, వెలమదొరల జత, కలలో చూసిన సంపదలను స్పష్టంగా నమ్మరాదు.
వెలయాలివలనఁ గూరిమి
గలుగదు మరి గలిగెనేని కడతేరదుగా
పలువురు నడిచెడి తెరుపునఁ
బులు మొలవదు మొలిచెనేని బొదలదు సుమతీ!
తాత్పర్యం:పదిమంది నడిచే బాటలో పచ్చగడ్డి మొలవదు. ఒకవేళ మొలిచినా పెరగదు. ఆ విధంగానే వేశ్యవల్ల ప్రేమ లభించదు. ఒకవేళ లభించినా ఎక్కువకాలం నిలవదు.
వీడెము సేయని నోరును
జేడెల యధరామృతంబుఁ జేయని నోరును
బాడంగరాని నోరును
బూడిద కిరవైన పాడు బొందర సుమతీ!
తాత్పర్యం: తాంబూలం వేసుకోని, స్త్రీల అధరామృత పానం చేయని, గానం చేయని నోరు పెంట బూడిద పోసుకొనే గోయితో సమానం సుమా!
వినదగు నెవ్వరుచెప్పిన
వినినంతనె వేగపడక వివరింపదగున్
కనికల్ల నిజము దెలిసిన
మనుజుడే పో నీతిపరుడు మహిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఎవరు ఏం చెప్పినా వినవచ్చు. విన్నా వెంటనే తొందరపడకుండా బాగా పరిశీలన చేయాలి. అలా పరిశీలించి అది నిజమో అబద్దమో తెలుసుకొన్న మనిషే ధర్మాత్ముడు.
వరి పంటలేని యూరును
దొరయుండని యూరు తోడు దొరకని తెరువున్
ధరను బతిలేని గృహమును
అరయంగా రుద్రభూమి యనదగు సుమతీ!
తాత్పర్యం: ధాన్యం పంటలేని గ్రామం, రాజు నివశింపని నగరం, సహాయం దొరకని మార్గం, భర్త (రాజు)లేని గృహం ఆలోచించగా స్మశానంతో సమానమని చెప్పవచ్చు.
వరదైన చేను దున్నకు
కరవైనను బంధుజనుల కడకేగకుమీ
పరులకు మర్మము సెప్పకు
పిరికికి దళవాయితనము బెట్టకు సుమతీ!
తాత్పర్యం: వరద ముంచిన చేనును దున్నవద్దు. కూడు కరవైనను బంధువుల ఇంటికి పోవద్దు. ఇతరులకు రహస్యాల్ని చెప్పవద్దు. పిరికివాడికి సేనానాయక పదవిని ఇయ్యవద్దు.
లావుగలవానికంటెను
భావింపఁగ నీతిపరుఁడు బలవంతుండౌ
గ్రావంబంత గజంబును
మావటివాఁడెక్కినట్లు మహిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: పెద్ద పర్వతమంటి ఏనుగుకంటే చిన్నవాడైన మావటి లోబరుచుకుని ఎక్కుచున్నాడు కనక మావటి గొప్పవాడు. అలాగే శరీరబలం కలవాని కంటే బుద్ధిబలం కలవాడే నిజమైన బలవంతుడు.
రూపించి పలికి బొంకకు
ప్రాపగు చుట్టంబు నెగ్గు పలుకకు మదిలోఁ
గోపించురాజుఁ గొల్వకు
పాపుదేశంబు సొరకు పదిలము సుమతీ!
తాత్పర్యం: సాక్షులతో నిర్ధారణ చేసి అబద్ధాన్ని నిజమని స్థిరపరచడం, ఆప్తబంధువులను నిందించడం, కోపిని సేవించడం, పాపభూమికి వెళ్లడం తగని పనులు. కావున ఈ విషయాల్లో జాగ్రత్తగా ఉండాలి.
రా పొమ్మని పిలువని యా
భూపాలునిఁ గొల్వ ముక్తి ముక్తులు గలవే
దీపంబు లేని ఇంటను
చెవుణికీళ్లాడినట్లు సిద్ధము సుమతీ!
తాత్పర్యం: దీపంలేని ఇంట్లో చేవుణికీళ్లాట ఆడితే ఏవిధంగా ఆనందం కలగదో ఆ విధంగానే రమ్మని కానీ పొమ్మని కానీ చెప్పని రాజును సేవించడం వల్ల జీవమూ లేదు. మోక్షమూ లేదు. వట్టి నిష్ప్రయోజనం.
నాది నొకని వలచియుండగ
మదిచెడి యొక క్రూరవిటుడు మానక తిరుగున్
బొది జిలుక పిల్లి పట్టిన
జదువునె యా పంజరమున జగతిని సుమతీ!
తాత్పర్యం: పిల్లి పంజరాన్ని పట్టుకుంటే ఆ పంజరంలో ఉన్న చిలుక మాట్లాడుతుందా? అలాగే, మనసులో ఒకతన్ని ప్రేమించిన స్త్రీ విటుడు ఎంత బతిమాలినా ప్రేమించదు.
మానఘనుఁ డాత్మధృతిఁ జెడి
హీనుండగువాని నాశ్రయించుట యెల్లన్
మానెడు జలములలోపల
నేనుఁగు మెయి దాఁచినట్టు లెరగుము సుమతీ!
తాత్పర్యం: అభిమాన శ్రేష్టుడు మనోధైర్యం చెడి అల్పుని ఆశ్రయించడం మానెడు నీళ్లలో ఏనుగు తన శరీరాన్ని మరుగుపరచినట్లుండును.
మాటకు బ్రాణము సత్యము
కోటకుఁ బ్రాణంబు సుభట కోటి ధరిత్రిన్
బోటికిఁ బ్రాణము మానము
చీటికిఁ బ్రాణంబు వ్రాలు సిద్ధము సుమతీ!
తాత్పర్యం: నోటిమాటకు సత్యం, పెద్ద దుర్గానికి గొప్ప సైన్య సమూహం, స్త్రీకి అభిమానం, పత్రానికి చేవ్రాలు ముఖ్యమైన ఆధారాలు.
మంత్రిగలవాని రాజ్యము
తంత్రము సెడకుండ నిలచుఁ దరచుగ ధరలో
మంత్రి విహీనుని రాజ్యము
జంత్రపుఁగీలూడినట్లు జరుగదు సుమతీ!
తాత్పర్యం: సమర్థుడైన మంత్రి ఉంటే సామ, దాన, భేద, దండ వంటి ఉపాయాలు పాడుకాకుండా సాగిపోతాయి. అలాంటి మంత్రి లేకపోతే కీలూడిపోయిన యంత్రంలా ముందుకు సాగవు.
మండలపతి సముఖంబున
మెండైన ప్రధానిలేక మెలఁగుట యెల్లన్
గొండంత మదపుటేనుగు
తొండము లేకుండినట్లు తోచుర సుమతీ!
తాత్పర్యం: కొండంత పెద్దదైన ఏనుగు అయినా తొండం లేకపోతే ఎలా శోభావిహీనంగా ఉంటుందో అలాగే, గొప్ప దేశాన్ని పరిపాలించే రాజు దగ్గర సమర్థుడైన మంత్రి లేకపోతే అతని పాలన అంతే శోభావిహీనమవుతుంది.
బలవంతుడ నాకేమని
పలువురితో నిగ్రహించి పలుకుట మేలా
బలవంతమైన సర్పము
చలిచీమల చేత జిక్కి చావదె సుమతీ!
తాత్పర్యం: నేను చాలా బలవంతుడ్ని. నాకేమీ భయం లేదని నిర్లక్ష్యం చేసి విర్రవీగి విరోధం తెచ్చుకోవడం మంచిది కాదు. అది ఎప్పుడూ హాని కలిగిస్తుంది. ఎంతో బలం కలిగిన సర్పం కూడా చలిచీమలకు లోబడి చావడం లేదా?
బంగారు కుదువబెట్టకు
సంగరమునఁ బారిపోకు సరసుఁడవగుచో
నంగడి వెచ్చములాడకు
వెంగలితో జెలిమి వలదు వినురా సుమతీ!
తాత్పర్యం: బంగారు నగలను తాకట్టు పెట్టవద్దు. యుద్ధభూమి నుంచి వెన్నిచ్చి పారిపోవద్దు. దుకాణం నుంచి సరకులు అరువు తెచ్చుకోవద్దు. మూఢునితో స్నేహం చేయవద్దు.
పొరుగున పగవాడుండిన
నిర వొందగ వ్రాతగాఁడె ఏలికయైనన్
ధరఁగాఁపు కొండెమాడినఁ
గరణాలకు బ్రతుకులేదు గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఇంటి పక్కనే శతృవు ఉన్నా, బాగా రాయగలవాడే ప్రభువు అయినా, గ్రామ పెత్తందారు కొండెములు చెప్పేవాడయినా లేఖరుకు జీవితం గడవదు.
పెట్టిన దినములలోపల
నట్టడవులకైనవచ్చు నానార్థములున్
బెట్టని దినములఁ గనకపు
గట్టెక్కిన నేమిలేదు గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: అదృష్టం కలసివచ్చిన రోజుల్లో అడవి మధ్యలో ఉన్నా అన్ని సంపదలూ అక్కడికే వస్తాయి. దురదృష్టం వెన్నాడేటపుడు బంగారు పర్వతాన్ని ఎక్కినా ఏమీ లభించదు.
పులిపాలు దెచ్చిఇచ్చిన
నలవడఁగ గుండెగోసి యరచే నిడినం
దలపొడుగు ధనము బోసిన
వెలయాలికి గూర్మిలేదు వినురా సుమతీ!
తాత్పర్యం: దుస్సాధ్యమైన పులిపాలు తెచ్చి ఇచ్చినా, హృదయాన్ని కోసి అరచేతిలో పెట్టినా, నిలువెత్తు ధనం పోసినా వేశ్యకు నిజమైన ప్రేమ ఉండదు.
పుత్రోత్సాహము తండ్రికి
పుత్రుడు జన్మించినపుడు పుట్టదు, జనులా
పుత్రుని కనుగొని పొగడగ
పుత్రోత్సాహంబు నాడు పొందుర సుమతీ!
తాత్పర్యం: కుమారుడు పుట్టగానే తండ్రికి సంతోషం కలగదు. ప్రజలు ఆ కుమారుడ్ని మెచ్చిన రోజుననే నిజమైన సంతోషం కలుగుతుంది.
పురికిని బ్రాణము కోమటి
వరికిని బ్రాణంబు నీరు వసుమతిలోనం
గరికిని బ్రాణము తొండము
సిరికిని బ్రాణము మగువ సిద్ధము సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఈ లోకంలో పట్టణానికి వైశ్యుడు, వరిసస్యమునకు నీళ్లు, ఏనుగుకు తొండము, ఐశ్వర్యానికి స్త్రీ జీవం ఒసంగుదురు.
పిలువని పనులకు బోవుట
కలయని సతి రతియు రాజు గానని కొలువు
బిలువని పేరంటంబును
వలవని చెలిమియును జేయవలదుర సుమతీ
తాత్పర్యం: పిలవని కార్యక్రమాలకు వెళ్లడం, హృదయంతో కలవని స్త్రీతో సంభోగం, పాలకులు చూడని సేవ, పిలవని పేరంటం, కోరని స్నేహం చేయదగదు.
పాలసునకైన యాపద
జాలింబడి తీర్పఁదగదు సర్వజ్ఞునకుఁ
దే లగ్నిబడగఁ బట్టిన
మేలెరుగునె మీటుగాక మేదిని సుమతీ!
తాత్పర్యం: తేలు నిప్పులో పడినప్పుడు దానిని జాలితో బయటకు తీసి పట్టుకొంటే కుడుతుంది. కానీ మనం చేసే మేలును తెలుసుకోలేదు. అలాగే జాలిపడి మూర్ఖునికి ఆపదలో సహాయం చేయజూస్తే తిరిగి మనకే ఆపకారం చేస్తాడు. కనుక అట్లు చేయరాదు.
పాలను గలిసిన జలమును
బాలవిధంబుననే యుండుఁ బరికింపగ
బాల చవిఁజెరచు గావున
బాలసుఁడగువాని పొందు వలదుర సుమతీ!
తాత్పర్యం: పాలతో కలిసిన నీరు కూడా పైకి పాలలాగే కనపడుతుంది. పరిశీలిస్తే పాల రుచిని చెడగొడుతుంది. అలాగే, చెడ్డవారితో స్నేహం స్వగౌరవాన్ని కూడా పోగొట్టును. కనుక అలాంటి స్నేహం వలదు.
పాటెరుగని పతికొలువును
గూటంబున కెరుకపడని కోమలిరతియు
జేటెత్తజేయు చెలిమియు
నేటికి నెదిరీదినట్టు లెన్నగ సుమతీ
తాత్పర్యం: శ్రమను తెలుసుకోలేని ప్రభువును సేవించడం, కలయికకు తెలివిలేని స్త్రీతో సంభోగం, వెంటనే చెడిపోయేట్లున్న స్నేహం నదీ ప్రవాహానికి ఎదురీదినట్లే.
పలుదోమి సేయు విడియము
తలగడిగిన నాఁటినిద్ర తరుణులయెడలం
బొలయలుక నాటి కూటమి
వెల యింతని చెప్పరాదు వినురా సుమతీ!
తాత్పర్యం: దంతధావనం చేసుకుని, తలంటు పోసుకుని, తాంబూలం వేసుకుని పోయిన నిద్ర, స్త్రీలతో ప్రణయకలహం వచ్చిన రోజు పొందు అత్యంత సౌఖ్యప్రదాలు. వాటి విలువ ఇంతని చెప్పలేము.
పర్వముల సతులఁ గవయకు
ముర్వీశ్వరుకరుణ నమ్మి యబ్బకు మదిలో
గర్వింపనాలి బెంపకు
నిర్వహణము లేనిచోట నిలువకు సుమతీ
తాత్పర్యం: పుణ్యదినాల్లో స్త్రీలతో కలవకుము. ప్రభువుల దయను నమ్మి మనసులో ఉప్పొంగకుము. గర్వంతో విర్రవీగే భార్యను పోషింపకు. సాగుదల లేనిచోట నిలవకు.
పరుల కనిష్టము సెప్పకు
పొరుగిండ్లకు బనులులేక పోవకు మెపుడున్
బరుఁగదిసిన సతి గవయకు
ఎరింగియు బిరుసై సహయము నెక్కకు సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఇతరులకు అప్రియములను పలకవద్దు. పనులు లేక పొరుగిళ్లకు పోవద్దు. ఎప్పుడూ ఇతరులు పొందిన భార్యను కలివవద్దు. తెలిసీ, పొగరుబోతైన గుర్రాన్ని ఎక్కవద్దు.
పరసతుల గోష్టినుండి
పురుషుడు గాంగేయుడైన భువి నిందబడున్
బరుసతి సుశీయైనను
బరుసంగతినున్న నింద పాలగు సుమతీ!
తాత్పర్యం: భూమిపై, పర స్త్రీలతో సరససల్లాపాలు ఆడితే భీష్ముడయినా నిందను ఎదుర్కొనవలసిందే. ఇతర స్త్రీ ఎంత మంచిదయినా పర పురుషునితో స్నేహం చేస్తే అపకీర్తి పాలగును.
పరసతి కూటమి గోరకు
పరధనముల కాసపడకు పరునెంచకుమీ
సరిగాని గోష్టి సేయకు
సిరిచెడి జుట్టంబుకడకుఁ జేరకు సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఇతర స్త్రీలతో కలయికను కోరవద్దు. ఇతరుల భాగ్యానికి ఆశపడకు. ఇతరుల దోషాలను లెక్కించవద్దు. మంచిది కాని సంభాషణ చేయవద్దు. భాగ్యం పోయినప్పుడు బంధువుల వద్దకు చేరకుము.
పరనారీ సోదరుఁడై
పరధనముల కాసపడక పరులకు హితుడైఁ
పరుల దనుఁబొగడ నెగడక
పరుఁలలిగిన నలుగనతఁడు పరముడు సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఇతర స్త్రీలను తోబుట్టువులుగా చూసుకొంటూ, ఇతరుల ధనానికి ఆశపడకుండా, అందరికీ ఇష్టుడై, ఇతరులు పొగుడుతుంటే ఉప్పొంగక, కోపం ప్రదర్శించినప్పుడు బాధ పడకుండా ఉండేవాడే శ్రేష్టుడు.
పనిచేయునెడల దాసియు
ననుభవమున రంభ మంత్రి యాలోచనలన్
దనభుక్తి యెడలఁ దల్లియు
ననఁ దన కులకాంత యుండనగురా సుమతీ!
తాత్పర్యం: భార్య... ఇంటిపనుల్లో దాసిగా, సంభోగ సమయంలో రంభగా, సలహాలిచ్చేటప్పుడు మంత్రిగా, భోజనం పెట్టే సమయంలో తల్లిగా ప్రవర్తించేలా ఉండాలి.
పతికడకుఁ దన్నుగూర్చిన
సతికడకును వేల్పుకడకు సద్గురు కడకున్
సుతుకడకు రిత్తచేతుల
మతిమంతులు చనరు నీతిమార్గము సుమతీ!
తాత్పర్యం: ప్రభువు వద్దకు, భార్య దగ్గరికి, భగవంతుని సన్నిధానానికి, గురువు వద్దకు, కుమారుని దగ్గరకు బుద్ధిమంతులు వట్టిచేతులతో వెళ్లరు. ఇదియే నీతిమార్గము.
పగవల దెవ్వరితోడను
వగవంగా వలదు లేమి వచ్చిన పిదపన్
దెగనాడవలదు సభలను
మగువకు మనసీయవలదు మహిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: భూమిపై ఎవరితోనూ విరోధం మంచిది కాదు. దార్రిద్య్రం వచ్చిన తరువాత విచారింపరాదు. సభలో ఎవరినీ దూషింపరాదు. స్త్రీకి తన హృదయాన్ని తెలియనీరాదు.
నవ్వకుమీ సభలోపల
నవ్వకుమీ తల్లిదండ్రి నాధులతోడన్
నవ్వకుమీ పరసతితో
నవ్వకుమీ విప్రవరుల నయమిది సుమతీ!
తాత్పర్యం: సభల్లో, తల్లిని, తండ్రిని, భర్తను, ఇతరుల భార్యను, బ్రాహ్మణులను చూసి నవ్వరాదు.
నవరస భావాలంకృత
కవితాగోష్ఠియును మధుర గానంబును
నవివేకి కెంతఁజెప్పినఁ
జెవిటికి శంఖూదినట్లు సిద్ధము సుమతీ!
తాత్పర్యం: తొమ్మిది రసాలతోకూడిన మంచి భావాలతో శృంగారింపబడిన కవిత్వ సంబంధ సంభాషణ, కమ్మని సంగీతాన్ని జ్ఞానహీనునకు వినిపించడం, చెవిటి వాని ముందు శంఖం వూదినట్లే.
నరపతుల మేరదప్పిన
దిర మొప్పగ విధవ ఇంట దీర్పరియైనన్
గరణము వైదికుఁడయినను
మరణాంతకమౌనుగాని మానదు సుమతీ!
తాత్పర్యం: రాజు హద్దుమీరి ప్రవర్తించినా, శాశ్వతంగా విధవ ఇంట పెత్తందారైనా, లేఖకుడు నియోగి కాక వైదికుడయినా ప్రాణము మీదికి వచ్చును. తథ్యము.
నవమున బాలుంద్రావరు
భయమునను విషమ్మునైన భక్షింతురుగా
నయమెంత దోసకారియె
భయమే చూపంగవలయు బాగుగ సుమతీ!
తాత్పర్యం: మెత్తని మాటలతో పాలు కూడా తాగరు. భయపెడితే విషాన్నైనా తాగుతారు. మృదుత్వమెప్పుడూ చెడునే కలిగిస్తుంది. కనక చక్కగా భయాన్నే చూపవలయును.
నమ్మకు సుంకరి జూదరి
నమ్మకు మగసాలివాని నటు వెలయాలిన్
నమ్మకు మంగలివానిని
నమ్మకుమీ వామహస్తు నవనిని సుమతీ!
తాత్పర్యం: పన్నులు వసూలు చేసే వానిని, జూదం ఆడేవాడిని, కమసాలివానిని, నటకుని, వేశ్యను, వర్తకుని, ఎడమ చేతితో పనులు చేసేవాడిని నమ్మవద్దు.
నడువకుమీ తెరువొక్కటఁ
గుడువకుమీ శతృనింటఁ గూరిమితోడన్
ముడువకుమీ పరధనముల
నుడువకుమీ యెరులమనసు నొవ్వగ సుమతీ!
తాత్పర్యం: తోడులేకుండా వంటరిగా పోవద్దు. విరోధి ఇంట్లో భుజింపవద్దు. ఇతరుల ధనం దగ్గర ఉంచుకోవద్దు. ఇతరుల మనస్సు బాధపడేట్లు మాట్లాడవద్దు. *ధీరులకుఁ జేయు మేలది
సారంబగు నారికేళ సలిలము భంగిన్
గారవమును మరిమీదట
భూరిసుఖావహము నగును భువిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: బుద్ధిమంతుడికి చేసే మేలు కొబ్బరికాయలోని నీరు వలే శ్రేష్టమైనది, ప్రియమైనది, గొప్ప సుఖానికి స్థానాన్ని ఇచ్చేదీ అగును.
ధనపతి సఖుఁడై యుండియు
నెనయంగా శివుఁడు భిక్షమెత్తగవలసెన్
దనవారి కెంతకల గిన
దనభాగ్యమె తనఁకుగాక తథ్యము సుమతీ!
తాత్పర్యం: గొప్ప ధనవంతుడైన కుబేరుడు మిత్రడుగా ఉన్నా శివునికి బిచ్చం ఎత్తవలసి వచ్చింది. కనుక తాను సంపాదించుకున్న (తన దగ్గరున్న) భాగ్యమే తనకు సహాయపడాలి గానీ తన దగ్గర ఉన్నవారి దగ్గర ఎంత భాగ్యం ఉన్నా నిష్ప్రయోజనం
చేతులకు దొడవు దానము
భూతలనాధులకుఁ దొడవు బొంకమి ధరలో
నీతియ తొడ వెవ్వారికి
నాతికి మానంబు తొడవు నయముగ సుమతీ!
తాత్పర్యం: చేతులకు దానం, పాలకులకు అసత్యం పలకకుండడం, అందరికీ న్యాయం, స్త్రీకి అభిమానం అలంకారాలు.
దగ్గర కొండెము సెప్పెడు
ప్రెగ్గడ పలుకులకు రాజు ప్రియుఁడై మరితా
నెగ్గుఁబ్రజ కాచరించుట
బొగ్గులకై కల్పతరువు బొడచుట సుమతీ!
తాత్పర్యం: మంత్రి చెప్పే చాడీ మాటలకు లోబడి మంచిచెడ్డలు తెలుసుకొనక రాజు ప్రజలను హింసించడం బొగ్గుల కోసం కోరిన కోరికలిచ్చే కల్పవృక్షాన్ని నరికేసుకోవడం వంటిది.
తాను భుజింపని యర్థము
మానవపతిఁ జేరుఁగొంత మరి భూగతమౌఁ
గానల నీఁగల గూర్చిన
దేనియ యెరుఁజేరునట్లు తిరగమున సుమతీ!
తాత్పర్యం: అరణ్యంలో తేనెటీగలు కూడబెట్టిన తేనె కడకి తరుల పాలైనట్లు లోభి నోరు కట్టుకొని కూడబెట్టిన ధనం కొంత ప్రభువుల పాలును, మరికొంత భూమి పాలగును.
తలమాసిన నొలుమాసిన
వలువలు మాసినను బ్రాన వల్లభునైనం
గులకాంతలైన రోఁతురు
తిలకింపఁగ భూమిలోన దిరముగ సుమతీ!
తాత్పర్యం: భూలోకంలో... తలమాసినా, శరీరానికి మురికి పట్టినా, మట్టలు మాసిపోయినా చేసుకొన్న భర్తనయినా ఇల్లాళ్లు ఏవగించుకుంటారు.
తలనుండు విషము ఫణికిని
వెలయంగా దోకనుండు వృశ్చికమునకున్
దలతోఁక యనక యుండును
ఖలునకు నిలువెల్ల విషము గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: పాముకి విషము తలలోను, తేలుకు తోకలోనూ, దుష్టునకు నిలువెల్లా విషం ఉంటుంది.
తములము వేయని నోరును
విమతులతో జెలిమిసేసి వెతఁబడు తెలివిన్
గమలములు లేని కొలకుఁను
హిమధాముఁడు లేని రాత్రి హీనము సుమతీ!
తాత్పర్యం: తాంబూలం వేయని నోరు, దుర్మార్గులతో స్నేహం చేసి బాధపడే బుద్ధి, తామరపూలు లేని చెరువు, చంద్రుడు లేని రాత్రి శోభిల్లవు.
తనవారు లేనిచోటను
జనవించుక లేనిచోట జగడముచోటన్
అనుమానమైన చోటను
మనుజునకును నిలువఁదగదు మహిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: కావాల్సిన చుట్టాలు లేనిచోట, మాట చెల్లుబడికాని ప్రదేశంలో, తగవులాడుకొనేచోట, తనను అవమానించే ప్రదేశాల్లో మానవుడు నిలువరాదు.
తన కలిమి ఇంద్రభోగము
తన లేమియె సర్వలోక దారిద్య్రంబున్
తన చావు జతద్ప్రళయము
తను వలచినదియె రంభ తథ్యము సుమతీ!
తాత్పర్యం: తన ఐశ్వర్యమే దేవలోక వైభవం; తన దారిద్య్రమే సమస్తలోక దారిద్య్రం; తన చావే ప్రపంచానికి ప్రళయం; తాను ప్రేమించినదే రంభ; మనుషులు భావించేది ఈ విధంగానే... ఇది నిజము.
తనయూరి తపసితనమును
దనపుత్త్రుని విద్య పెంపుఁ దన సతి రూపున్
దన పెరటిచెట్టు మందును
మనసున వర్ణింప రెట్టి మనుజులు సుమతీ!
తాత్పర్యం: తన ఊరివాళ్ల తపోనిష్ఠ, కుమారుని విద్యాధిక్యత, భార్య సౌందర్యం, ఇంటి వైద్యాలను ఎవ్వరూ కూడా గొప్పగా వర్ణించి చెప్పరు.
తన కోపమె తన శతృవు
తన శాంతమె తనకు రక్ష దయ చుట్టంబౌఁ
తన సంతోషమె స్వర్గము
తన దుఃఖమె నరకమండ్రు తధ్యము సుమతీ!
తాత్పర్యం: తన కోపమే తనకు శతృవువలే బాధించును. తన శాంతమే తనను రక్షించును. దయయే చుట్టాలవలే సాయపడును. ఆనందమే ఇంద్రలోక సౌఖ్యము. దుఃఖమే నరకం అగును. ఇది నిజం.
తడ వోర్వక యొడలోర్వక
కడువేగం బడచిపడినఁ గార్యంబగునే
తడవోర్చిన నొడలోర్చినఁ
జెడిపోయిన కార్యమెల్ల జేకురు సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఆలస్యాన్ని, శరీర శ్రమను సహించకుండా తొందరపడినా కార్యం కాదు. ఆలస్యాన్ని, శరీర శ్రమను ఓర్చుకొన్నప్పుడే చెడిపోయిన కార్యం కూడా నెరువేరుతుండును.
చేతులకు దొడవు దానము
భూతలనాధులకుఁ దొడవు బొంకమి ధరలో
నీతియ తొడ వెవ్వారికి
నాతికి మానంబు తొడవు నయముగ సుమతీ!
తాత్పర్యం: చేతులకు దానం, పాలకులకు అసత్యం పలకకుండడం, అందరికీ న్యాయం, స్త్రీకి అభిమానం అలంకారాలు.
చుట్టములు గానివారలు
చుట్టములము నీకటంచు సొంపుదలర్పన్
నెట్టుకొని యాశ్రయింతురు
గట్టిగఁ ద్రవ్యంబు గలుగఁ గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: ధనం ఎక్కువగా ఉన్నట్లయితే బంధువులు కాని వారు కూడా మేము మీకు బంధువులమే అంటూ పట్టుదలతో గట్టిగా మనల్ని ఆశ్రయించడానికి వస్తారు.
కొరగాని కొడుకు పుట్టినఁ
కొరగామియె కాదు తండ్రి గుణముల జెరచుం
జెరకు తుద వెన్నుఁపుట్టిన
జెరకునఁ దీపెల్ల జెరచు సిద్ధము సుమతీ!
తాత్పర్యం: చెరకుగెడ చివర వెన్ను పుడితే అది చెరకులోని తీయదనాన్ని ఏ విధంగా పాడు చేస్తుందో అలాగే అప్రయోజకుడైన కుమారుడు పుట్టడం వల్ల ఆ కుటుంబానికి ఉపయోగ పడకపోగా తండ్రికి ఉన్న మంచి పేరును కూడా చెడగొడతాడు.
కోమలి విశ్వాసంబును
బాములతోఁ జెలిమి యన్యభామల వలపున్
వేముల తియ్యఁదనంబును
భూమీశుల నమ్మికలుసు బొంకుర సుమతీ!
తాత్పర్యం: స్త్రీల పట్ల విశ్వాసం, పాములతో స్నేహం, పరస్త్రీల ప్రేమ, వేప చెట్లలో తీయదనం, రాజుల పట్ల నమ్మకం అన్నీ అసత్యాలు.
గడనగల మననిఁజూచిన
నడుగగడుగున మడుఁగులిడుచు రతివలు తమలో
గడ నుడుగు మగనిఁ జూచిన
నడుపీనుఁగు వచ్చెననుచు నగుదురు సుమతీ!
తాత్పర్యం: స్త్రీలు సంపాదన ఉన్న భర్తను చూస్తే అడుగులకు మడుగులు ఒత్తుతారు, పూజిస్తారు. సంపాదన లేని మగడిని చూస్తే నడిచే శవం వచ్చిందని హీనంగా మాట్లాడతారు.
చీమలు పెట్టిన పుట్టలు
పాముల కిరవైన యట్లు పామరుఁడు దగన్
హేమంబుఁ గూడఁబెట్టిన
భూమీశులపాఁ జేరు భువిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: చీమలు పెట్టిన పుట్టలు పాములకు నివాసమైనట్లు అజ్ఞాని కూడబెట్టిన బంగారమంతా రాజుల వశమై పోతుంది.
కులకాంత తోడ నెప్పుడుఁ
గలహింపకు వట్టి తప్పు ఘటియింపకుమీ
కలకంఠి కంట కన్నీ
రొలికిన సిరి యింటనుండ నొల్లదు సుమతీ!
తాత్పర్యం: భార్యతో ఎప్పుడూ తగాదా పడవద్దు. ఆమెపై లేనిపోని నేరాలను ఆరోపించవద్దు. ఉత్తమ ఇల్లాలు కంట నీరు కింద పడిన ఇంటిలో లక్ష్మిదేవి ఉండదు.
కూరిమిగల దినములలో
నేరము లెన్నఁడును గలుఁగ నేరవు మఱి యా
కూరిమి విరసంబైనను
నేరములే తోఁచుచుండు నిక్కము సుమతీ!
తాత్పర్యం: పరస్పరం స్నేహం ఉన్న రోజుల్లో నేరాలు ఎప్పుడూ కనిపించవు. ఆ స్నేహం చెడగానే అన్ని తప్పులుగానే కనిపిస్తాయి. ఇది నిజం.
కొంచెపు నరుసంగతిచే
నంచితముగఁ గీడువచ్చు నదియెట్లన్నన్
గించిత్తు నల్లి కుట్టిన
మంచమునకుఁ జేటువచ్చు మహిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: చిన్న నల్లి కుడితే... ఆ నల్లి ఉన్న మంచాన్ని ఎండలో వేయడం, కర్రతో కొట్టడం, మరుగునీళ్లు పోయడం మొదలైన వన్నీ చేస్తాం. నల్లితో స్నేహం చేయడం వల్లే మంచానికే ఈ కష్టాలు. అలాగే అల్పుడైన వాడితో స్నేహం చేస్తే ఎలాంటి వారికైనా ఆపదలు వస్తాయి.
కారణములేని నగవును
బేరణమును లేని లేమ పృథివీస్థలిలో
బూరణము లేని బూరెయు
వీరణములేని పెండ్లి వృధరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: కారణం లేని నవ్వు, నృత్యం (రవిక) లేని స్త్రీ, పూర్ణం లేని బూరె, వీరణం లేని పెళ్లి వ్యర్థాలు.
కాముకుడు దనిసి విడిచిన
కోమలి బరవిటుడు గవయ గూడుట యెల్లన్
బ్రేమమున జెరకు పిప్పికి
జీమలు వెస మూగినట్లు సిద్ధము సుమతీ!
తాత్పర్యం: విటుడు తృప్తిపడేట్లు భోగించి విడిచన కాంతను మరొకడు జారుడు అనుభవించాలని కోరడం చెరకులోని రసాన్ని సంపూర్ణంగా తీసివేసిన తరువాత పిప్పికై చీమలు ముసుకొన్నట్లు ఉండును.
కాదు సుమీ దుస్సంగతి
పోదుసుమీ కీర్తికాంత పొందిన పిదపన్
వాదుసుమీ యప్పిచ్చుట
లేదుసుమీ సతులవలపు లేశము సుమతీ!
తాత్పర్యం: చెడ్డవారితో స్నేహం మంచిది కాదు. కిర్తి వచ్చిన తరువాత అది నశించదు. అప్పు తీసుకోవడం తగవులకు మూలం. స్త్రీల వద్ద ప్రేమ శూన్యం.
కవిగానివాని వ్రాఁతయు
నవరసభావములు లేని నాతుల వలపుం
దవిలి చను పందినేయని
వివిధాయుధ కౌశలంబు వృథరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: కవి కానివాడు రాసిన రచన, తొమ్మిది రసాల స్థితులు తెలియని స్త్రీ ప్రేమ, ముందుపోయే పందిని వెంబడించి కొట్టలేని వాని ఆయుధ విద్యలోని నేర్పరితనం వ్యర్థం.
కసుగాయఁ గరచి చూచిన
మసలక తన యోగరుగాక మధురంబగునా?
పసగలుగు యువతులుండఁగఁ
బసిబాలలఁ బొందువాఁడు పశువుర సుమతీ!
తాత్పర్యం: పక్వానికి వచ్చిన పళ్లను వదిలి పచ్చికాయలను తింటే వగరుగా ఉన్నట్లే, చాతుర్యం గల పడుచులు ఉండగా పసిపాపలను కూడెడు వానికి సుఖము శూన్యము. అలాంటివాడు నిజంగా పశువే.
కరణము సాధై యున్నను
గరి మద ముడిగినను బాము కరవకయున్నన్
ధరదేలు మీటకున్నను
గర మరుదుగ లెక్క గొనరు గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: కరణం నెమ్మదస్తుడైనా, ఏనుగు మదం పోయినది అయినా, తాచుపాము కరవకున్నా, తేలు కుట్టకున్నా ఆశ్చర్యంతో మిక్కిలి తేలికగా చూస్తారు.
కరణము గరణము నమ్మిన
మరణాంతకమౌను గాని మనలేడు సుమీ
కరణము తన సరి కరణము
మరి నమ్మక మర్మమీక మనవలె సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఒక లేఖకుడు మరో లేఖకుని నమ్మితే మరణంతో సమానమైన ఆపదను కొనితెచ్చుకున్నట్లే. అందుకే, లేఖకుడు తనతో సమానమైన మరో లేఖరిని విశ్వసింపక, తన గుట్టును చెప్పక జీవించాలి.
కమలములు నీడఁ బాసినఁ
గమలాప్తుని రశ్మి సోకి కమలినభంగిన్
దమ దమ నెలవులు దప్పినఁ
దమ మిత్రులు శతృలౌట తథ్యము సుమతీ!
తాత్పర్యం: కమలములు పుట్టిల్లయిన నీటిని విడిచిపెట్టి మిత్రుడు అయిన సూర్యుని ఎండ తాకిన వెంటనే కమిలిపోతున్నాయి. అలాగే, మానవులు తమ నివాసాలను విడిచిపెడితే స్నేహితులే శతృలవుతారు.
కప్పకు నొరగాలైనను
సప్పమునకు రోగమైన సతి తులువైనన్
ముప్పున దరిద్రుడైనను
దప్పదు మరి దుఃఖమగుట తథ్యము సుమతీ!
తాత్పర్యం: కప్పకు కాలు విరిగినా, పాముకు రోగం వచ్చినా, భార్య దుష్టురాలైనా, ముసలితనంలో దారిద్య్రం సంభవించినా ఎక్కువ దుఃఖప్రదాలు అవుతాయి.
కనకపు సింహాసనము
శునకముఁ గూర్చుండబెట్టి శుభలగ్నమునఁ
దొనరఁగ బట్టముగట్టిన
వెనకటి గుణమేల మాను వినరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: శుభ ముహూర్తంలో కుక్కను తీసుకొచ్చి బంగారు సంహాసనంపై కూర్చోబెట్టి పట్టాభిషేకం చేసినా, దాని నిజనైజాన్ని ఎలా మానలేదో అల్పునికి ఎంత గౌరవం చేసి మంచి పదవి ఇచ్చినా తన నీచత్వాన్ని వదలలేడు.
కడు బలవంతుడైనను
బుడమిని బ్రాయంపుటాలి బుట్టినయింటం
దడవుండనిచ్చె నేనియు
బడుపుగ నంగడికి దానె పంపుట సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఎంత సమర్థత కలవాడైనా యవ్వనంలో భార్యను చిరకాలం పుట్టింట ఉండనిచ్చినచో తానే స్వయంగా భార్యను వ్యభిచార వృత్తికి దింపినవాడగును.
ఓడల బండ్లును వచ్చును
ఓడలు నాబండ్ల మీద నొప్పుగ వచ్చును
ఓడలు బండ్లును వలెనే
వాడంబడు గలిమిలేమి వసుధను సుమతీ!
తాత్పర్యం: నావలపై బళ్లు, బళ్లపై నావలు వచ్చునట్లే, భాగ్యవంతులకు దారిద్య్రం, దరిద్రులకు భాగ్యం పర్యాయంగా వస్తూంటాయి.
ఒల్లనిసతి నొల్లనిపతి
నొల్లని చెలికాని విడువ నొల్లనివాఁడే
గొల్లండు గాక ధరలో
గొల్లండును గొల్లడౌను గుణమున సుమతీ!
తాత్పర్యం: తన్ను ప్రేమించని భర్యను, యజమానిని, స్నేహితుడ్ని విడిచి పెట్టడానికి అంగీకరించనివాడే వెర్రి గొల్లవాడు గానీ జాతిచేత గొల్లవాడైనంత మాత్రాన గుణాల్లో వెర్రి గొల్లవాడు కాదు.
ఒకయూరికి నొక కరణము
నొక తీర్పరియైనఁ గాక వొగిఁదరుచైనం
గకవికలు గాక యుండునె
సకలంబును గొట్టువడక సహజము సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఒక గ్రామానికి ఒక లేఖరి, ఒక ధర్మాధికారి ఉండాలి. అలాకాక ఎక్కువమంది అయితే అనేక గందరగోళాలు పుట్టి సమస్తం చెడిపోవుట సహజము.
ఏరకుమీ కసుగాయలు
దోరకుమీ బంధుజనుల దోషముసుమ్మీ
పారకుమీ రణమందున
మీరకుమీ గురువులాజ్ఞ మేదిని సుమతీ!
తాత్పర్యం: భూమిపై... పచ్చికాయలు ఏరి తినకు. చుట్టాలను దూషించకు. యుద్ధం నుంచి వెనుతిరిగి పారిపోకు. పెద్దల ఆజ్ఞలను జవదాటకు సుమా!
ఎప్పుడు సంపద కలిగిన
అప్పుడె బంధువులు వత్తురది యెట్లన్నన్
దెప్పలుగ జెరువునిండిన
గప్పలు పదివేలు చేరు గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: చెరువు నిండా నీరు చేరగానే వేలకొద్దీ కప్పలు అందులో చేరునట్లే సంపద కలిగిన వారి వద్దకే బంధువులు ఎక్కువగా జేరుకొందురు.
ఎప్పుడు దప్పులు వెదకెడు
నప్పురుషుని కొల్వ గూడ దదియెట్లన్నన్
సర్పంబు పడగనీడను
గప్పవసించిన విధంబు గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: నల్లతాచు నీడలో నివశించే కప్ప బతుకు ఎంత అస్థిరమో ఆవిధంగానే ఎప్పుడూ తప్పులు వెతికే యజమానిని సేవిచే వాడి బతుకూ ప్రాణభయంతో కూడినదే సుమా!
ఉపకారికి నుపకారము
విపరీతముగాదు సేయ వివరింపంగా
అపకారికి నుపకారము
నెపమెన్నక సేయువాడు నేర్పరి సుమతీ!
తాత్పర్యం: మేలు చేసిన వానికి మేలు చేయుట గొప్ప కాదు. హాని చేసిన వానికి అంతకుముందు వాడు చేసిన దోషాలను లెక్కచేయక ఉపకారం చేసేవాడే నేర్పరి.
ఉదకము ద్రావెడు హయమును
మదమున నుప్పొంగుచుండు మత్తేభంబున్
మొదవుకడ నున్న వృషభము
జదువని యా నీచుకడకుఁ జనకుర సుమతీ!
తాత్పర్యం: నీరు తాగే గుర్రం దగ్గరకు, కొవ్వుతో విజృంభించే మదపుటేనుగు దగ్గరకు, ఆవు దగ్గర ఉన్న ఆబోతు వద్దకు, విద్యనేర్వని అల్పుని దగ్గరకు వెళ్లకుము.
ఉత్తమ గుణములు నీచు
కెత్తెర గునగలుగనేర్చు నెయ్యడలం దా
నెత్తిచ్చి కరగిపోసిన
నిత్తడి బంగారుమగునె ఇలలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: బంగారానికి సమానమైన ఎత్తు ఇత్తడిని తీసుకొని ఎన్నిసార్లు కరిగించిపోసినా బంగారం ఎట్లు కానేరదో అదేవిధంగా లోకంలో నీచునకు ఎక్కడా ఏ విధంగానూ మంచి గుణాలు కలగవు.
ఉడుముండదె నూరేండ్లును
బడియుండదె పేర్మి బాము పదినూరేండ్లున్
మడుపునఁ గొక్కెర యుండదె
కడు నిల బురుషార్థపరుడు గావలె సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఉడుము నూరేళ్లు, పాము పది వందల ఏళ్లు, కొంగ చెరువులో చిరకాలం జీవిస్తున్నాయి. వాటి జీవితాలన్నీ నిరుపయోగాలే. మానవుని జీవితం అలా కాక ధర్మార్థకామమోక్షాసక్తితో కూడినది కావాలి.
ఇమ్ముగఁ జదువని నోరును
అమ్మాయని పిలిచి యన్నమడుగని నోరున్
దమ్ములఁ బిలువని నోరును
గుమ్మరిమను ద్రవ్వినట్టి గుంటర సుమతీ!
తాత్పర్యం: ఇంపుగా పఠింపని నోరు, అమ్మా అని పిలిచి అన్నం అడగని నోరు, తమ్ముడూ అని పిలవని నోరు కుమ్మరివాడు మన్ను తవ్విన గోయితో సమానం సుమా!
ఆఁకొన్న కూడె యమృతము
తాఁకొందక నిచ్చువాఁడె దాత ధరిత్రిన్
సోఁకోర్చువాఁడె మనుజుఁడు
తేఁకువగలవాఁడె వంశ తిలకుఁడు సుమతీ!
తాత్పర్యం: లోకంలో ఆకలి వేసినప్పుడు అన్నమే అమృతము, బాధ పొందకుండా ఇచ్చువాడే దాత, ఆవేశాన్ని ఓర్చుకొనేవాడే మానవుడు, ధైర్యం కలవాడే వంశశ్రేష్ఠుడు.
అల్లుని మంచితనంబును
గొల్లని సాహిత్యవిద్య, కోమలి నిజమున్
బొల్లున దంచిన బియ్యముఁ
దెల్లని కాకులును లేవు తెలియర సుమతీ!
తాత్పర్యం: అల్లుడి మంచితనం, గొల్లవాని పాండిత్యజ్ఞానం, ఆడదానియందు నిజం, పొల్లు ధాన్యములో బియ్యం, తెల్లని కాకులూ లోకములో ఉండవు.
అప్పుగొని సేయు విభవము
ముప్పునఁ బ్రాయంపుటాలు మూర్ఖుని తపమున్
దప్పురయని నృపురాజ్యము
దెప్పరమై మీఁదఁ గీడు దెచ్చుర సుమతీ!
తాత్పర్యం: రుణము తెచ్చుకొని అనుభవించు సౌఖ్యము, ముసలితనంలో పడుచు భార్య, తప్పులను కనిపెట్టని రాజు రాజ్యము సహింపరానివి. చివరకు హాని కలిగించేవి.
అడియాస కొలువుఁ గొలువకు
గుడిమణియము సేయఁబోకు కుజనులతోడన్
విడువక కూరిమి సేయకు
మడవినిఁదో డరయఁకొంటి నరుగకు సుమతీ!
తాత్పర్యం: వృథా ప్రయాస అగు సేవను చేయకుము. గుడి ధర్మకర్తృత్వమును చేయకుము. చెడ్డవారితో స్నేహము చేయకుము. అడవిలో సహాయం లేకుండా ఒంటరిగా పోకుము.
అడిగిన జీతంబియ్యని
మిడిమేలపు దొరనుగొల్చి మిడుకుటకంటెన్
వడిగల యెద్దుల గట్టుక
మడి దున్నుకు బ్రతుకవచ్చు మహిలో సుమతీ!
తాత్పర్యం: అడిగినప్పుడు జీతమును ఈయని గర్వి అయిన ప్రభువును సేవించి జీవించుట కంటే, వేగముగా పోగల ఎద్దులను నాగలికి కట్టుకుని పొలమును దున్నుకొని వ్యవసాయం చేసుకోవడం మంచిది.
అక్కరకు రాని చుట్టము
మ్రొక్కిన వరమీని వేల్పు మోహరమునఁదా
నెక్కినఁ బారని గుర్రము
గ్రక్కున విడువంగ వలయుఁ గదరా సుమతీ!
తాత్పర్యం: అవసరమునకు పనికిరాని చుట్టమును, నమస్కరించి వేడిననూ కోరిక నెరవేర్చని భగవంతుని, యుద్ధ సమయమున ఎక్కినప్పుడు ముందుకు పరిగెత్తని గుర్రమును వెంటనే విడిచిపెట్టవలయును.
శ్రీరాముని దయచేతను
నారూఢిగ సకలజనులు నౌరాఁయనగా
ధారాళమైన నీతులు
నోరూరఁగఁ జవులుపుట్ట నుడివెద సుమతీ!
తాత్పర్యం: మంచిబుద్ధి గలవాడా! శ్రీరాముని దయవల్ల నిశ్చయముగా అందరు జనులనూ శెభాషని అనునట్లుగా నోటి నుంచి నీళ్లూరునట్లు రసములు పుట్టగా న్యాయమును బోధించు నీతులను చెప్పెదను.
మూలాలు
ఇవి కూడా చూడండి
బయటి లింకులు
Check date values in: |year= (help)
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%B8%E0%B1%81%E0%B0%AE%E0%B0%A4%E0%B1%80%20%E0%B0%B6%E0%B0%A4%E0%B0%95%E0%B0%AE%E0%B1%81 |
{
"plaintext_start_byte": [
75,
393
],
"plaintext_end_byte": [
392,
648
]
} | గుడ్డివారికి ఎన్ని రంగులు కనిపిస్తాయి? | ఇంగ్లీషు-తెలుగు నిఘంటువు (B) | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Part 1: ba-bd
Part 2: be-bi
Part 3: bl-bo
Part 4: bp-bz
మూలం
V. Rao Vemuri, English-Telugu and Telugu-English Dictionary and Thesaurus, Asian Educational Services, New Delhi, 2002 ISBN 0-9678080-2-2
వేమూరి నిఘంటువు (ఇంగ్లీషు-తెలుగు)
వేమూరి నిఘంటువు (తెలుగు-ఇంగ్లీషు)
వర్గం:వేమూరి నిఘంటువు (ఇంగ్లీషు-తెలుగు)
వర్గం:వేమూరి నిఘంటువు (తెలుగు-ఇంగ్లీషు)
వర్గం:అనువాదాలు | https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%87%E0%B0%82%E0%B0%97%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B1%80%E0%B0%B7%E0%B1%81-%E0%B0%A4%E0%B1%86%E0%B0%B2%E0%B1%81%E0%B0%97%E0%B1%81%20%E0%B0%A8%E0%B0%BF%E0%B0%98%E0%B0%82%E0%B0%9F%E0%B1%81%E0%B0%B5%E0%B1%81%20%28B%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1683,
3432,
6051,
7623,
10175,
11556,
13007,
15546,
18120,
19091,
20529,
23311,
25279,
28021,
30928,
33870,
35607,
37286,
38392,
39116,
41186,
42027,
42945,
46144,
47436,
49780,
50368,
51094,
52175,
54400,
55299,
56459,
57709,
58945,
61381,
62564,
64534,
66844,
70170,
70982,
72862,
73718,
74627,
76609,
77784,
79342,
80677,
82186,
82978,
83838,
84670,
86907,
89725,
92351,
94022,
96747,
97377,
100194,
101163,
102296,
104214,
105572,
106955,
107812,
109048,
109685,
111660,
113725,
116234,
117063,
117997,
118079,
120757,
121777,
123065,
123214,
123396,
123917,
124162
],
"plaintext_end_byte": [
1682,
3431,
6013,
7538,
10119,
11554,
13006,
15545,
18049,
19090,
20404,
23310,
25278,
27971,
30927,
33869,
35606,
37285,
38391,
39115,
41185,
42026,
42864,
46143,
47435,
49779,
50367,
51093,
52101,
54399,
55216,
56458,
57708,
58910,
61380,
62486,
64533,
66843,
70169,
70981,
72861,
73717,
74580,
76608,
77783,
79270,
80676,
82185,
82934,
83716,
84669,
86906,
89597,
92295,
94021,
96746,
97342,
100107,
101162,
102295,
104213,
105543,
106954,
107811,
108998,
109684,
111659,
113724,
116233,
117007,
117996,
118078,
120564,
121733,
123033,
123170,
123288,
123847,
124160,
124814
]
} | เจ.เค. โรว์ลิ่ง เกิดเื่อวันที่เท่าไหร่? | เจ. เค. โรว์ลิง | thai | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
โจแอนน์ "โจ" โรว์ลิง (English: Joanne "Jo" Rowling, OBE FRSL[1]) หรือนามปากกา เจ. เค. โรว์ลิง[2] และ<b data-parsoid='{"dsr":[1509,1531,3,3]}'>โรเบิร์ต กัลเบรธ (เกิด 31 กรกฎาคม ค.ศ. 1965)[3] เป็นนักเขียนนวนิยายชาวอังกฤษ ผู้เป็นที่รู้จักกันดีในฐานะผู้ประพันธ์วรรณกรรมแฟนตาซีชุด แฮร์รี่ พอตเตอร์ ซึ่งได้รับความความสนใจจากทั่วโลก ได้รับรางวัลมากมาย และมียอดขายกว่า 500 ล้านเล่ม[4] และยังเป็นหนังสือชุดที่ขายดีที่สุดในประวัติศาสตร์[5] ด้านภาพยนตร์ชุดแฮร์รี่ พอตเตอร์ที่ดัดแปลงมาจากหนังสือก็เป็นภาพยนตร์ชุดที่ทำรายได้มากที่สุดเป็นอันดับสองในประวัติศาสตร์[6] โรว์ลิงอนุมัติบทภาพยนตร์ทุกภาค[7] และตลอดจนควบคุมงานฝ่ายสร้างสรรค์ภาพยนตร์ภาคสุดท้ายในฐานะผู้อำนวยการสร้าง[8]
โรว์ลิงเกิดที่เมืองเยตส์ มณฑลกลอสเตอร์เชอร์ เคยทำงานเป็นนักวิจัยและเลขานุการสองภาษาให้กับองค์การนิรโทษกรรมสากล ก่อนได้ความคิดสำหรับชุด<i data-parsoid='{"dsr":[3461,3481,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์</i>บนขบวนรถไฟที่ล่าช้าจากแมนเชสเตอร์ไปลอนดอนเมื่อปี 1990[9] อีกเจ็ดปีถัดมา เธอเสียมารดา หย่าร้างกับสามีคนแรกและค่อนข้างยากจน จนโรว์ลิงเขียน แฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์ เสร็จในปี 1997 มีภาคต่อหกเล่ม เล่มสุดท้ายคือ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเครื่องรางยมทูต ในปี 2007 จากนั้นโรว์ลิงเขียนหนังสือสำหรับผู้อ่านผู้ใหญ่สามเรื่อง ได้แก่ เก้าอี้ว่าง (2012) และนวนิยายสืบสวนสอบสวน เรื่อง เสียงเพรียกจากคักคู (2013) และ หนอนไหม (2014) โดยใช้ชื่อปลอมในการเขียนว่า โรเบิร์ต กัลเบรธ[10]
ชีวิตของโรว์ลิงพลิกผันจากความยากจนไปสู่ความร่ำรวย จากเดิมที่เธอเคยต้องพึ่งเงินสงเคราะห์จากรัฐบาลเพื่ออยู่รอด เธอได้เปลี่ยนสถานะกลายเป็นมหาเศรษฐีในห้าปี โดย ซันเดย์ไทม์ริชลิสต์</i>ประจำปี 2008 ประเมินทรัพย์สินของโรว์ลิงไว้ 560 ล้านปอนด์ เป็นหญิงที่ร่ำรวยที่สุดอันดับที่สิบสองของสหราชอาณาจักร[11] ส่วนนิตยสารฟอบส์ได้จัดอันดับเมื่อปี 2007 ให้เธอเป็นคนดังที่ทรงอิทธิพลที่สุดในอันดับที่สี่สิบแปดของโลก[12] ในปีเดียวกันนิตยสารไทม์ยกเธอให้เป็นรองบุคคลแห่งปี 2007 จากการให้แรงบันดาลใจแก่แฟนคลับไม่ว่าจะเป็นทางด้านสังคม ศีลธรรม และการเมือง[13] และในเดือนตุลาคม 2010 โรว์ลิงยังได้เป็น "สตรียอดทรงอิทธิพลในบริเตน" จากการเสนอชื่อของบรรณาธิการนิตยสารชั้นนำต่าง ๆ[14] เธอยังให้การสนับสนุนองค์กรการกุศลต่าง ๆ ไม่ว่าจะเป็นคอมมิครีลีฟ วันแพเรนต์แฟมิลีส์ สมาคมเพื่อผู้ป่วยโรคปลอกประสาทเสื่อมแข็งแห่งสหราชอาณาจักร และมูลนิธิลูมอส (ชื่อเดิมคือชิลเดรนส์ไฮเลเวลกรุ๊ป) ส่วนในทางการเมือง เธอสนับสนุนพรรคแรงงานและกลุ่มเบทเทอร์ทูเกเตอร์
ที่มาของชื่อ
แม้เธอจะเขียนหนังสือภายใต้นามปากกา “เจ. เค. โรว์ลิง”[15] แต่ชื่อของเธอก่อนที่จะแต่งงานใหม่นั้นคือ “โจแอนน์ โรว์ลิง” อย่างไรก็ตามสำนักพิมพ์ของเธอคาดว่าเด็กผู้ชายซึ่งเป็นกลุ่มเป้าหมายอาจจะไม่อยากอ่านหนังสือที่เขียนโดยผู้หญิง จึงขอให้เธอใช้ตัวย่อสองตัวแทนชื่อเต็ม และเนื่องด้วยเธอไม่มีชื่อกลางเธอจึงเลือกตัว K (ย่อมากจาก แคทรีน) ชื่อย่าของเธอมาเป็นตัวย่อที่สองของนามปากกา[16] เธอมักจะเรียกตัวเองว่า “โจ”[17] ภายหลังการแต่งงาน ในบางครั้งที่ต้องติดต่อธุรกิจส่วนตัวเธอก็จะใช้ชื่อ โจแอนน์ เมอร์เรย์ ซึ่งเป็นนามสกุลของสามีแทน[18][19]
ประวัติ
ต้นกำเนิดและครอบครัว
โรว์ลิงเกิดเมื่อวันที่ 31 กรกฎาคม ค.ศ. 1965[20][21] ที่เมืองเยตส์ มณฑลกลอสเตอร์เชอร์ 10ไมล์จากทางทิศตะวันออกเฉียงเหนือของเมืองบริสตอล[22][23] ประเทศอังกฤษ เธอเป็นลูกสาวคนโตของปีเตอร์ โรว์ลิง วิศวกรการบินของบริษัทโรลส์-รอยซ์[24] และแอนน์ โรว์ลิง (นามสกุลเดิม โวแลนท์) นักเทคนิควิทยาศาสตร์[25] ทั้งคู่พบกันบนขบวนรถไฟจากสถานีรถไฟคิงครอสไปเมืองอาร์บรอท เมื่อปี 1964[26] ก่อนจะแต่งงานกันในวันที่ 14 มีนาคม ค.ศ. 1965[26] ตาทวดของเธอชื่อดูกัล แคมป์เบลล์ เป็นชาวสก็อต เกิดที่เมืองแลมแลช บนเกาะอาร์ราน ประเทศสก็อตแลนด์[27][28] ตาของแม่เธอชื่อหลุยส์ โวแลนท์ เป็นชาวฝรั่งเศสและเคยได้รับรางวัลเหรียญกล้าหาญครัวเดอะแกร์ จากวีรกรรมการป้องกันหมู่บ้านคอร์แซลล์ เลอ คองต์ ในช่วงสงครามโลกครั้งที่หนึ่ง นอกจากนี้โรว์ลิงยังเชื่อว่าเขาเคยได้รับเครื่องอิสริยาภรณ์เลฌียงดอเนอร์ในช่วงสงคราม ซึ่งเป็นเครื่องอิสริยาภรณ์เดียวกันกับที่เธอได้ในปี 2009 ภายหลังเธอก็ได้รับการยืนยันหลังจากมีส่วนร่วมในตอนนึงของรายการสารคดีชุดWho Do You Think You Are?[29][30]
วัยเด็กและการศึกษา
โรว์ลิงมีน้องสาวหนึ่งคนชื่อว่าไดแอนน์[9] เกิดให้หลังเธอ 23 เดือน[23] เมื่อโรว์ลิงอายุสี่ขวบ ครอบครัวของเธอย้ายไปอยู่ที่วินเทอร์บอร์น ซึ่งเป็นหมู่บ้านละแวกใกล้เคียง[31] เธอเข้าเรียนในระดับประถมศึกษาที่โรงเรียนเซนต์ไมเคิล ที่ก่อตั้งโดยวิลเลียม วิลเบอร์ฟอร์ซ นักการเมืองผู้เรียกร้องให้เกิดการเลิกทาสในอังกฤษและฮันนาห์ มอร์ นักปฏิรูปการศึกษาของอังกฤษ[32][33] อัลเฟรด ดันท์ ครูใหญ่ที่โรงเรียนแห่งนี้ภายหลังได้กลายมาเป็นแรงบันดาลใจให้เธอสร้างตัวละครอัลบัส ดัมเบิลดอร์ ในแฮร์รี่ พอตเตอร์ขึ้น[34]
ในวัยเด็กโรว์ลิงมักจะเขียนเรื่องราวแฟนตาซี ซึ่งเธอมักจะอ่านให้น้องสาวฟังอยู่บ่อยๆ[15] เมื่ออายุเก้าขวบ ครอบครัวเธอย้ายไปอยู่ที่บ้านกระต๊อบ ในหมูบ้านทัดชิล มณฑลกลอสเตอร์เชอร์ ใกล้กันกับเมืองเช็พสโตว์ ประเทศเวลส์[23] เธอเข้าเรียนในระดับมัธยมศึกษาที่โรงเรียนไวย์ดีน ที่ที่แม่ของเธอทำงานอยู่ในหมวดวิชาวิทยาศาสตร์[25] ในช่วงวัยรุ่นตอนต้นโรว์ลิงได้รับหนังสือจากพี่สาวของปู่เป็นอัตชีวประวัติของเจสสิกา มิดฟอร์ด เรื่อง Hons and Rebels[35] โรว์ลิงอ่านหนังสือของเธอทุกเล่มและมิดฟอร์ดได้กลายเป็นวีรสตรีของโรว์ลิงไปในที่สุด[36]
โรว์ลิงเล่าถึงชีวิตในวัยรุ่นของเธอว่าไม่มีความสุข[24] เนื่องจากครอบครัวมีปัญหาหลายอย่าง ทั้งอาการป่วยของแม่และความสัมพันธ์ที่ตึงเครียดระหว่างเธอกับพ่อ ซึ่งปัจจุบันทั้งสองก็ไม่ยอมพูดด้วยกัน[24] โรว์ลิงกล่าวในภายหลังว่าเธอสร้างตัวละครเฮอร์ไมโอนี เกรนเจอร์ขึ้นโดยอิงจากนิสัยของเธอตอนอายุ 11 ปี[37] ในขณะที่สตีฟ เอ็ดดี้ ครูสอนภาษาอังกฤษของโรว์ลิงจดจำเธอได้ว่า"เธอเป็นเด็กที่ไม่ถึงกับโดดเด่น แต่ก็เป็นหนึ่งในนักเรียนเรียนหญิงที่ฉลาดและเก่งภาษาอังกฤษเอามากๆ"[24] โรว์ลิงมีเพื่อนสนิทชื่อณอน แฮร์ริส เจ้าของรถฟอร์ดแองเกลียสีเทอร์ควอยซ์ ที่ต่อมาก็ได้กลายเป็นแรงบันดาลใจให้เธอสร้างรถฟอร์ดแองเกลียบินได้ของพวกวิสลีย์ที่ปรากฏอยู่ในแฮร์รี่ พอตเตอร์กับห้องแห่งความลับขึ้น[38] ในช่วงนั้นเธอชอบฟังเพลงของวงเดอะสมิธส์และเดอะแคลช[39] โรว์ลิงเลือกเรียนหลักสูตรเอเลเวลในวิชาภาษาอังกฤษ ภาษาฝรั่งเศส และภาษาเยอรมัน เธอได้เกรดเอสองตัวและบีหนึ่งตัวตามลำดับ นอกจากนี้เธอยังเป็นประธานนักเรียนหญิงอีกด้วย[24]
ในปี 1982 โรว์ลิงสอบเข้าศึกษาต่อในระดับมหาวิทยาลัยที่มหาวิทยาลัยออกซฟอร์ดแต่ไม่ผ่านการคัดเลือก[24] เธอจึงเข้าศึกษาในคณะศิลปศาสตร์สาขาภาษาฝรั่งเศสและวรรณกรรมคลาสสิค ที่มหาวิทยาลัยเอ็กซิเตอร์แทน[40] มาร์ติน ซอเรล อาจารย์สอนภาษาฝรั่งเศสที่มหาวิทยาลัยเอ็กซิเตอร์จดจำเธอได้ว่า "เธอเป็นเด็กที่มีความสามารถ ผมสีดำ ใส่แจ๊กเก็ตยีนส์ ในด้านการเรียนก็ให้ความสำคัญกับสิ่งที่ควรทำ"[24] โรว์ลิงเล่าถึงช่วงนั้นว่าเธอทำงานพิเศษเล็กน้อย ชื่นชอบการฟังเพลงของวงเดอะสมิธส์ และอ่านงานเขียนของดิกคินส์และโทลคีน[24] หลังจากศึกษาที่ปารีสเป็นเวลาหนึ่งปี โรว์ลิงได้จบการศึกษาจากมหาวิทยาลัยเอ็กซิเตอร์ในปี 1986[24] จากนั้นจึงย้ายมาอยู่ที่ลอนดอน โดยทำงานเป็นนักวิจัยและเลขานุการสองภาษาให้กับองค์การนิรโทษกรรมสากล[41] ในปี 1988 โรว์ลิงได้เขียนบทความสั้นเกี่ยวกับช่วงเวลาที่เธอเรียนวิชาวรรณกรรมคลาสสิค ในบทความเรื่อง "What was the Name of that Nymph Again? or Greek and Roman Studies Recalled" ตีพิมพ์โดยนิตยสารเพกาซัส นิตยสารข่าวของมหาวิทยาลัยเอ็กซิเตอร์[42]
แรงดลใจและการสูญเสียแม่
โรว์ลิงตัดสินใจลาออกจากงานที่องค์การนิรโทษกรรมสากลที่ลอนดอน เธอและแฟนหนุ่มของเธอในขณะนั้นจึงได้ตัดสินใจย้ายไปอยู่ที่เมืองแมนเชสเตอร์[23] เธอได้รับงานใหม่ที่หอการค้า[26] และในปี 1990 ระหว่างที่เธออยู่บนรถไฟขบวนจากแมนเชสเตอร์ไปลอนดอนซึ่งล่าช้าไปกว่า 4 ชั่วโมง ภาพของเด็กชายที่เข้าเรียนโรงเรียนพ่อมดก็ได้"ประดัง”เข้ามาอยู่ในความคิดของเธอ[23][43][43]
เมื่อเดินทางกลับถึงแฟลตของเธอที่อยู่แถวสถานีรถไฟแคลปแฮมจังชั่น เธอจึงเริ่มลงมือเขียนในทันที[23][44] และในเดือนธันวาคมปีเดียวกัน แอนน์ แม่ของเธอเสียชีวิตหลังจากทนทุกข์กับโรคปลอกประสาทเสื่อมแข็งมานานกว่า 10 ปี[23] โรว์ลิงไม่เคยบอกแม่ว่าในตอนนั้นเธอกำลังเขียนแฮร์รี่ พอตเตอร์อยู่[19] และการตายของแม่ก็ส่งผลกระทบต่องานเขียนของโรว์ลิงเป็นอย่างมาก เธอจึงสามารถเพิ่มเติมรายละเอียดเรื่องการสูญเสียพ่อแม่ของแฮร์รี่ได้มากกว่าเดิมเนื่องจากเธอรู้ดีว่ามันรู้สึกอย่างไร[45]
แต่งงาน หย่าร้าง และการเป็นแม่เลี้ยงเดี่ยว
โรว์ลิงย้ายไปทำงานเป็นครูสอนภาษาอังกฤษเป็นภาษาต่างประเทศที่เมืองปอร์โต ประเทศโปรตุเกส[9][36]หลังเห็นโฆษณาในหนังสือพิมพ์เดอะการ์เดียน[26] เธอสอนในเวลากลางคืนและเริ่มงานเขียนในเวลากลางวันพร้อมกับฟังไวโอลินคอนแชร์โตของไชคอฟสกีไปด้วย[24] 18เดือนหลังย้ายมาอยู่ที่ปอร์โต เธอได้พบกับยอร์จ อารังชีส นักข่าวโทรทัศน์ชาวโปรตุเกส ที่บาร์แห่งหนึ่ง ก่อนจะแลกเปลี่ยนความสนใจกันเกี่ยวกับเจน ออสเตน[26] ทั้งคู่แต่งงานกันในวันที่ 16 ตุลาคม ค.ศ. 1992 และมีลูกสาวด้วยกันหนึ่งคนชื่อเจสสิกา อิซาเบล โรว์ลิง อารังชีส (ตั้งชื่อตามเจสสิกา มิดฟอร์ด)[26] ซึ่งก่อนหน้านี้โรว์ลิงเคยแท้งบุตรมาแล้วหนึ่งครั้ง[26] ทั้งสองแยกทางกันในวันที่ 17 พฤศจิกายน ค.ศ. 1993[26][46] แม้จะไม่ทราบรายละเอียดที่แน่ชัดแต่ผู้เขียนชีวประวัติของเธอได้ระบุว่าโรว์ลิงต้องพบเจอกับปัญหาความรุนแรงในครอบครัวตลอดช่วงชีวิตคู่ของเธอกับอารังชีส[26][47] ในเดือนธันวาคม ค.ศ. 1993 โรว์ลิงและลูกสาว ซึ่ง ณ ขณะนั้นยังเป็นทารก ได้ย้ายไปอยู่บ้านในละแวกใกล้กันกับบ้านของน้องสาวโรว์ลิงในเอดินบะระ ประเทศสก็อตแลนด์[23] พร้อมกับสามบทแรกของแฮร์รี่ พอตเตอร์ในกระเป๋าเดินทาง[24]
เจ็ดปีหลังจากจบการศึกษาในระดับมหาวิทยาลัย โรว์ลิงมองดูตัวเองเป็นคนที่ประสบความล้มเหลวคนหนึ่ง[48] ชีวิตคู่ของเธอล้มเหลว เธอตกงานและมีลูกอีกหนึ่งคนที่ต้องดูแล แต่เธอได้อธิบายความล้มเหลวของเธอว่าเป็นการมอบอิสระและสามารถทำให้เธอมีเวลาจดจ่อกับการเขียนมากขึ้น[48] ในช่วงเวลานั้นโรว์ลิงได้รับการวินิจฉัยว่าเป็นโรคซึมเศร้าและมีความคิดที่จะฆ่าตัวตาย[49] อาการป่วยของเธอได้เป็นแรงบันดาลใจให้เธอสร้างตัวละครผู้คุมวิญญาณ สิ่งมีชีวิตที่ดูดกินวิญญาณและความสุขซึ่งปรากฏตัวในเล่มที่สาม[50] และด้วยปัญหาทางการเงิน โรว์ลิงจึงได้ยื่นเรื่องเพื่อขอรับเงินสงเคราะห์ของรัฐบาล เธอได้อธิบายสถานภาพทางการเงินของเธอ ณ ตอนนั้นว่า “ไม่ได้ไร้บ้าน แต่ก็ยากจนเท่าที่มันจะเป็นได้ในประเทศอังกฤษสมัยปัจจุบัน”[24][48]
โรว์ลิงรู้สึกเป็นห่วงความปลอดภัยของตัวเองและลูกสาว หลังอารังชีสบินมาสก็อตแลนด์เพื่อตามหาเธอและลูก[26] ภายหลังเธอได้รับคำสั่งให้ได้รับการคุ้มครอง ทำให้อารังชีสต้องกลับโปรตุเกสไป จนกระทั่งเธอได้ยื่นฟ้องหย่าเขาในเดือนสิงหาคม ค.ศ. 1994[26] หลังจากนั้นเธอเขียนนิยายเล่มแรกเสร็จโดยอาศัยเงินสงเคราะห์เพื่อยังชีพ[51] และในเดือนสิงหาคม ค.ศ. 1995 เธอเริ่มต้นเข้ารับการอบรมการสอนที่วิทยาลัยมอร์เรย์เฮ้าส์ คณะศึกษาศาสตร์ มหาวิทยาลัยเอดินบะระ[52] เธอได้เขียนที่ร้านกาแฟหลายแห่งโดยเฉพาะร้านนิโคลสันส์คาเฟ่ (เจ้าของร้านเป็นน้องเขยของเธอเอง)[53][54]และร้านดิเอเลเฟ่นท์เฮ้าส์[55] ร้านกาแฟเป็นสถานที่ที่เธอสามารถทำให้เจสสิกายอมนอนได้[23][56] โรว์ลิงได้ให้การปฏิเสธข่าวลือในบทสัมภาษณ์ของบีบีซีเมื่อปี 2001 ที่ลือว่าเธอเขียนในร้านกาแฟละแวกบ้านเพื่อที่จะไม่ต้องอยู่ที่ห้องของเธอซึ่งอากาศในห้องไม่อบอุ่น เธอได้บอกว่าห้องของเธอนั้นมีฮีตเตอร์ โดยเหตุผลหนึ่งที่เธอเลือกเขียนในร้านกาแฟก็เป็นเพราะการพาลูกออกไปเดินเล่นข้างนอกเป็นทางเลือกที่ดีที่สุดที่จะทำให้เจสสิกาหลับได้[56]
แฮร์รี่ พอตเตอร์
ในปี 1995 โรว์ลิงเขียนต้นฉบับของแฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์เสร็จด้วยเครื่องพิมพ์ดีดรุ่นเก่า[58] เธอส่งต้นฉบับไปให้บริษัทตัวแทนคริสโตเฟอร์ ลิตเติ้ลในฟูแล่ม ภายหลังจากที่ได้อ่านสามบทแรกของต้นฉบับ ไบรโอนี่ อีแวนผู้พิจารณาต้นฉบับก็รู้สึกสนใจเป็นอย่างมาก ทางบริษัทจึงตกลงที่จะเป็นตัวแทนของโรว์ลิงในการหาผู้ตีพิมพ์ โดยส่งต้นฉบับไปให้สำนักพิมพ์ 12 แห่งพิจารณา แต่ก็ได้รับการปฏิเสธทั้งหมด[26] ในที่สุดหนึ่งปีให้หลังเธอก็ได้รับการอนุมัติ (พร้อมเงินจ่ายล่วงหน้า 1,500 ปอนด์) จากแบร์รี คันนิงแฮม บรรณาธิการสำนักพิมพ์บลูมบิวส์รีในลอนดอน[26][59] การตัดสินใจตีพิมพ์หนังสือของโรว์ลิงถือเป็นหนี้บุญคุณของอลิซ นิวตัน ลูกสาววัยแปดขวบของประธานบริหารสำนักพิมพ์บลูมบิวส์รี ซึ่งได้ลองให้ลูกสาวอ่านบทแรกของหนังสือดูและปรากฏว่าเธอขออ่านบทต่อไปในทันทีที่อ่านบทแรกจบ[60] และแม้ว่าบลูมบิวส์รีจะตกลงที่จะตีพิมพ์หนังสือ แต่คันนิ่งแฮมแนะนำให้โรว์ลิงหางานช่วงกลางวันทำเนื่องจากเธอมีโอกาสน้อยมากที่จะทำเงินจากหนังสือเด็ก[61] ไม่นานหลังจากนั้น ในปี 1997 โรว์ลิงได้รับเงินจากสภาศิลปะสก็อตเป็นเงินจำนวน 8,000 ปอนด์เพื่อสนับสนุนเธอในงานเขียนครั้งต่อๆไป[62]
ในเดือนมิถุนายน ค.ศ. 1997 บลูมบิวส์รีตีพิมพ์แฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์ โดยตีพิมพ์ครั้งแรกทั้งหมด 1,000 เล่ม หนังสือ 500 เล่มจากทั้งหมดได้ถูกแจกจ่ายให้กับห้องสมุดต่างๆ ในปัจจุบันหนังสือเหล่านี้มีมูลค่าอยู่ระหว่าง 16,000 ปอนด์ไปจนถึง 25,000 ปอนด์[63] ห้าเดือนให้หลัง ศิลาอาถรรพ์ก็ได้รับรางวัลหนังสือเนสเล่สมาร์ตตีส์ จากนั้นในเดือนกุมภาพันธ์ก็ได้รับรางวัลบริติชบุ๊คอวอร์ด สาขาหนังสือเด็กแห่งปีและตามด้วยรางวัลชิลเดรนส์บุ๊คอวอร์ด ต่อมาในช่วงต้นปี 1998 มีการจัดการประมูลขึ้นที่สหรัฐอเมริกา เพื่อยื่นซื้อลิขสิทธิ์ในการตีพิมพ์นิยายและสำนักพิมพ์สกอแลสติกชนะการประมูลด้วยค่าลิขสิทธิ์ 105,000 ดอลล่าร์ โรว์ลิงกล่าวว่าเธอ “แทบคลั่ง” เมื่อทราบข่าวนี้[64] ในเดือนตุลาคม ปี 1998 สำนักพิมพ์สกอแลสติกได้ตีพิมพ์แฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์และเปลี่ยนชื่อภาษาอังกฤษจากคำว่า Philosopher's Stone เป็น Harry Potter and the Sorcerer's Stone การปรับเปลี่ยนในครั้งนี้โรว์ลิงได้บอกว่าเธอรู้สึกเสียดายและคงจะคัดค้านถ้าเธออยู่ในสถานะที่ดีกว่าที่เธอเป็น ณ ตอนนั้น[65] ภายหลังโรว์ลิงย้ายออกจากแฟลตของเธอมาอยู่ที่บ้านเลขที่ 19 ถนนฮาร์เซลแบงก์ เทอร์เรซ ในเอดินบะระ ด้วยเงินที่ได้จากการขายลิขสิทธิ์ให้สกอแลสติก[53]
จากนั้นหนังสือภาคต่อ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับห้องแห่งความลับก็ได้รับการตีพิมพ์ในเดือนกรกฎาคม ค.ศ. 1998และเป็นอีกครั้งที่โรว์ลิงได้รับรางวัลหนังสือเนสเล่สมาร์ตตีส์[66] ต่อมาในเดือนธันวาคม ค.ศ. 1999 แฮร์รี่ พอตเตอร์กับนักโทษแห่งอัซคาบันก็ได้รับรางวัลดังกล่าวอีกครั้งและทำให้โรว์ลิงเป็นนักเขียนคนแรกที่ได้รับรางวัลนี้สามครั้งติดต่อกัน[67] ภายหลังเธอถอนชื่อหนังสือเล่มที่สี่ของเธอออกจากการแข่งขันเพื่อเปิดโอกาสและให้ความยุติธรรมแก่นักเขียนคนอื่น แฮร์รี่ พอตเตอร์กับนักโทษแห่งอัซคาบันยังได้รับรางวัลหนังสือวิตเบรดสาขาหนังสือเด็กแห่งปี แม้ว่าจะพลาดรางวัลสาขาหนังสือแห่งปีให้กับเบวูล์ฟฉบับแปลของเชมัส ฮีนีย์ก็ตาม[68]
หนังสือเล่มที่สี่ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับถ้วยอัคนี วางจำหน่ายพร้อมกันทั้งในสหรัฐอเมริกาและสหราชอาณาจักรในวันที่ 8 กรกฎาคม ค.ศ. 2000 และทำลายสถิติยอดขายของทั้งสองประเทศ โดยสามารถขายได้ 372,775 เล่มในวันแรกที่อังกฤษ ซึ่งเกือบจะเท่ากับจำนวนยอดขายตลอดปีของ<i data-parsoid='{"dsr":[30963,30985,2,2]}'>นักโทษแห่งอัซคาบัน[69] ส่วนที่อเมริกาก็สามารถขายได้กว่าสามล้านเล่มภายในเวลา 48 ชั่วโมงแรกและทำลายทุกสถิติ[69] โรว์ลิงกล่าวว่าเธอต้องเจอกับปัญหาใหญ่ระหว่างที่เขียนหนังสือเล่มนี้ และต้องเขียนบทนึงในหนังสือใหม่หลายครั้งเพื่อแก้ปัญหาของโครงเรื่อง[70] ในปีนั้นเองโรว์ลิงได้รับการระบุให้เป็นนักเขียนแห่งปี 2000 จากรางวัลบริติชบุ๊คอวอร์ด[71]
เป็นการรอคอยนานกว่าสามปีตั้งแต่การวางแผงของ<i data-parsoid='{"dsr":[32147,32160,2,2]}'>ถ้วยอัคนี</i>กับเล่มที่ห้าแฮร์รี่ พอตเตอร์กับภาคีนกฟีนิกซ์ ระยะห่างนี้ได้นำไปสู่การคาดการณ์ของนักข่าวว่าเธอเจอเข้ากับภาวะเขียนต่อไม่ออก แต่เธอได้ออกมาปฏิเสธ[72]และกล่าวในภายหลังว่าการเขียนหนังสือเล่มนี้เป็นงานที่น่าเบื่อ เนื่องจากมันควรที่จะสั้นกว่านี้ อีกทั้งเธอยังหมดทั้งแรงและเวลาทุกครั้งที่พยายามจะเขียนมันต่อให้จบ[73]
หนังสือเล่มที่หกแฮร์รี่ พอตเตอร์กับเจ้าชายเลือดผสม วางจำหน่ายในวันที่ 16 กรกฎาคม ค.ศ. 2005 และทำลายทุกสถิติการขายเช่นกัน สามารถขายได้ถึง 9 ล้านเล่มภายในเวลา 24 ชั่วโมงแรกของการวางขาย[74] ต่อมาในปี 2006 เจ้าชายเลือดผสม</i>ได้รับรางวัลหนังสือแห่งปีจากบริติชบุ๊คอวอร์ด[66]
ชื่อของหนังสือเล่มที่เจ็ดซึ่งเป็นภาคสุดท้ายของหนังสือชุด<i data-parsoid='{"dsr":[33301,33321,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์</i>ได้รับการประกาศในวันที่ 21 ธันวาคม ค.ศ. 2006 โดยใช้ชื่อว่าแฮร์รี่ พอตเตอร์กับเครื่องรางยมทูต (The Deathly Hallows) [75] และในเดือนกุมภาพันธ์ ค.ศ. 2007 มีการประกาศว่าโรว์ลิงได้เขียนข้อความลงบนรูปปั้นครึ่งตัวในห้องพักของเธอที่โรงแรมบัลโมรัล เมืองเอดินบะระ ว่าเธอได้เขียนแฮร์รี่ พอตเตอร์เล่มที่เจ็ดเสร็จในห้องนี้เมื่อวันที่ 11 มกราคม ปี 2007[76] แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเครื่องรางยมทูต</i>วางจำหน่ายในวันที่ 21 กรกฎาคม ค.ศ. 2007 (เวลาเที่ยงคืนหนึ่งนาที)[77] และทำลายสถิติหนังสือที่ขายได้ไวที่สุดตลอดกาลที่ภาคก่อนเคยทำได้สำเร็จ[78] สามารถขายได้ถึง 11 ล้านเล่มในการวางขายวันแรกที่สหราชอาณาจักรและสหรัฐอเมริกา[78] และบทสุดท้ายของหนังสือก็เป็นหนึ่งในบทที่เธอเขียนไว้ตั้งแต่ช่วงปี 1990 แล้ว[79]
ณ ตอนนี้ แฮร์รี่ พอตเตอร์ ถือเป็นชื่อสินค้าระดับโลกที่มูลค่ามากกว่า 25,000 ล้านดอลลาร์สหรัฐ[80] และหนังสือสี่เล่มสุดท้ายของ<i data-parsoid='{"dsr":[35508,35528,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์</i>ก็สร้างสถิติเป็นหนังสือที่ขายได้ไวที่สุดติดต่อกัน[78][81] หนังสือทั้งเจ็ดเล่มมีจำนวนหน้าทั้งหมด 4,195 หน้า[82] และมีการนำไปแปลเป็นภาษาต่างๆกว่า 73 ภาษา[83][84]
หนังสือชุด<i data-parsoid='{"dsr":[36941,36958,2,2]}'>แฮร์ พอตเตอร์ ยังได้รับการยอมรับว่าสามารถสร้างนิสัยรักการอ่านให้แก่เยาวชนในยุคที่เด็กๆต่างออกห่างจากหนังสือไปหาคอมพิวเตอร์และโทรทัศน์แทน[85] อย่างไรก็ตามก็ได้มีรายงานว่า ถึงแม้หนังสือชุดนี้จะสร้างความสนใจได้อย่างมหาศาล แต่จำนวนนักอ่านรุ่นเยาว์ก็ยังคงลดลงต่อไป[86]
ภาพยนตร์ชุดแฮร์รี่ พอตเตอร์
ในเดือนตุลาคม ปี 1998 วอร์เนอร์บราเธอร์สได้ซื้อลิขสิทธิ์หนังสือสองภาคแรกจากโรว์ลิงด้วยเงินจำนวนเจ็ดหลัก[87] หลังจากนั้นภาพยนตร์ภาคแรกแฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์ ได้เข้าฉายในวันที่ 16 พฤศจิกายน ค.ศ. 2001 และตามด้วยภาพยนตร์แฮร์รี่ พอตเตอร์กับห้องแห่งความลับ ฉายในวันที่ 15 พฤศจิกายน ค.ศ. 2002[88] ภาพยนตร์ทั้งสองภาคกำกับโดยคริส โคลัมบัส ต่อมาภาพยนตร์ของแฮร์รี่ พอตเตอร์กับนักโทษแห่งอัซคาบัน เข้าฉายในวันที่ 4 มิถุนายน ค.ศ. 2004 กำกับภาพยนตร์โดยอัลฟองโซ กัวรอง ส่วนภาพยนตร์ภาคที่สี่แฮร์รี่ พอตเตอร์กับถ้วยอัคนี กำกับโดย ไมค์ นิวเวลล์และฉายในวันที่ 18 พฤศจิกายน ค.ศ. 2005 จากนั้นภาพยนตร์แฮร์รี่ พอตเตอร์กับภาคีนกฟีนิกซ์ ออกฉายในวันที่ 11 กรกฎาคม ค.ศ. 2007[88]มีเดวิด เยตส์เป็นผู้กำกับ และได้ไมเคิล โกลเดนเบิร์กมาเขียนบทภาพยนตร์แทนสตีฟ โคลฟที่เขียนบทสี่ภาคแรก หลังจากนั้นภาพยนตร์แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเจ้าชายเลือดผสม ก็ได้เข้าฉายเมื่อวันที่ 15 กรกฎาคม ค.ศ. 2009[89] อีกทั้งยังได้เดวิด เยตส์มากำกับภาพยนตร์เช่นเดิมและสตีฟ โคลฟก็ได้กลับมาเขียนบทภาพยนตร์อีกครั้ง[90] วอร์เนอร์บราเธอร์สแบ่งภาพยนตร์ภาคสุดท้าย แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเครื่องรางยมทูต ออกเป็นสองส่วน ภาคแรกเข้าฉายในวันที่ 19 พฤศจิกายน ค.ศ. 2010 และภาคสอง ฉายในวันที่ 15 กรกฎาคม ค.ศ. 2011 เดวิด เยตส์เป็นผู้กำกับทั้งสองภาค[91][92]
ในขณะที่ร่างสัญญาลิขสิทธิ์ภาพยนตร์ วอร์เนอร์บราเธอร์สได้ยินยอมรับเงื่อนไขสำคัญล่วงหน้าตามความต้องการและความคิดของโรว์ลิง โดยหนึ่งในเงื่อนไขที่สำคัญกว่าสิ่งอื่นใดก็คือ เธอต้องการให้ภาพยนตร์ถ่ายทำที่ประเทศอังกฤษและใช้นักแสดงอังกฤษทั้งหมด[93] ซึ่งวอร์เนอร์ก็ได้ปฏิบัติตามเป็นอย่างดี โรว์ลิงยังต้องการให้บริษัทโคคา-โคล่าที่ร่วมลงทุนผลิตในภาพยนตร์ชุดนี้ บริจาคเงินจำนวน 18 ล้านดอลลาร์สหรัฐแก่มูลนิธิรีดดิงอีสฟันดาเมนทอลรวมถึงโครงการการกุศลอื่นๆ[94]
ภาพยนตร์สี่ภาคแรก ภาคหกและภาคเจ็ดได้รับการเขียนบทโดยสตีฟ โคลฟ ซึ่งโรว์ลิงได้ให้การเหลือช่วยเขาในขั้นตอนการเขียนบทภาพยนตร์ เพื่อให้แน่ใจว่าบทภาพยนตร์จะไม่ขัดแย้งกับเนื้อหาของหนังสือในอนาคต[95] เธอได้บอกความลับที่จำเป็นแก่อลัน ริคแมน (เซเวอรัส สเนป) และร็อบบี้ โคลทราน (รูเบอัส แฮกริด) เกี่ยวกับตัวละครของพวกเขาก่อนที่จะมีการเปิดเผยในหนังสือ[96] นอกจากนี้ผู้กำกับสตีเวน สปีลเบิร์ก ก็เกือบที่จะได้กำกับภาพยนตร์ภาคแรกแต่ก็ถอนตัวออกไป บรรดาสื่อมวลชนได้อ้างอยู่หลายครั้งว่าเป็นเพราะโรว์ลิงได้เข้าไปมีบทบาทต่อการถอนตัวของเขา แต่โรว์ลิงก็ได้กล่าวว่าเธอไม่เคยบอกว่าจะให้ใครมากำกับภาพยนตร์และจะไม่ขัดขวางสปีลเบิร์ก[97] โดยผู้กำกับที่เคยเป็นตัวเลือกแรกของโรว์ลิงคือเทอร์รี่ กิลเลี่ยม อดีตสมาชิกคณะตลกมอนตี ไพทอน แต่ทางวอร์เนอร์ต้องการให้ภาพยนตร์ออกมาเป็นภาพยนตร์ที่เป็นมิตรกับครอบครัว จึงได้เลือกโคลัมบัสให้มากำกับแทน[98]
โรว์ลิงได้มีส่วนร่วมควบคุมงานฝ่ายสร้างสรรค์บางส่วนในภาพยนตร์ ไม่ว่าจะเป็นการตรวจสอบบทภาพยนตร์ทุกภาค[99]และรวมไปถึงการเป็นผู้อำนวยการสร้างในภาพยนตร์แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเครื่องรางยมทูตทั้งสองภาคอีกด้วย[100]
หลังจากนั้นในปี 2011 ที่งานประกาศรางวัลบาฟตา โรว์ลิงกับโปรดิวเซอร์เดวิด เฮย์แมนและเดวิด แบรอน รวมทั้งผู้กำกับเดวิด เยตส์, ไมค์ นิวเวลล์ และอัลฟองโซ กัวรอง ได้รับรับรางวัลคุโณปการดีเด่นต่อวงการภาพยนตร์อังกฤษเพื่อเป็นเกียรติแก่ภาพยนตร์ชุดแฮร์รี่ พอตเตอร์[101]
เดือนกันยายน ปี 2013 วอร์เนอร์บราเธอร์สได้ประกาศร่วมมือกับโรว์ลิงในการดัดแปลงเรื่องราวของ<i data-parsoid='{"dsr":[44481,44502,2,2]}'>นิวท์ สคามันเดอร์ ผู้เขียนหนังสือสัตว์มหัศจรรย์และถิ่นที่อยู่ เป็นรูปแบบภาพยนตร์ชุด ซึ่งโรว์ลิงจะเขียนบทภาพยนตร์ภาคแรกที่เป็นเรื่องราว 70 ปีก่อนเหตุการณ์ในแฮร์รี่ พอตเตอร์[102] และในปี 2014 ก็ได้มีการประกาศว่าภาพยนตร์ชุดนี้จะแบ่งออกเป็นสามภาคด้วยกัน[103]
ความสำเร็จทางด้านการเงิน
ในปี 2004 นิตยสารฟอบส์</i>ได้ระบุชื่อโรว์ลิงให้เป็นบุคคลแรกที่กลายเป็นเศรษฐีพันล้านจากการเขียนหนังสือ[104] โดยเป็นผู้หญิงในสื่อบันเทิงที่รวยเป็นอันดับที่สองและบุคคลที่รวยเป็นอันดับที่ 1,062ของโลก[105] โรว์ลิงได้ออกมาโต้แย้งต่อการประเมินในครั้งนี้และกล่าวว่าเธอไม่ใช่เศรษฐีพันล้านแม้เธอจะมีเงินมากก็จริง[106] ต่อมาในปี 2008 นิตยสารซันเดย์ไทม์ริชลิสต์</i>ได้ระบุชื่อเธอให้เป็นบุคคลที่รวยเป็นอันดับที่ 144 ของเกาะอังกฤษ[11] หลังจากนั้นในปี 2012 นิตยสารฟอบส์ได้ลบชื่อโรว์ลิงออกจากรายชื่อเศรษฐีพันล้าน อ้างว่าเธอได้บริจาคเงินจำนวน 160 ล้านดอลลาร์สหรัฐแก่การกุศลและเนื่องจากภาษีที่เรียกเก็บสูงของอังกฤษทำให้โรว์ลิงไม่ใช่เศรษฐีพันล้านอีกต่อไป[107] ในเดือนกุมภาพันธ์ ปี 2013 เธอได้รับการประเมินจากคลื่นวิทยุวูแมนอาวของสถานีวิทยุบีบีซีเรดิโอออนโฟร์ให้เป็นผู้หญิงที่ทรงอิทธิพลอันดับที่ 13 ของสหราชอาณาจักร[108]
ในปี 2001 โรว์ลิงได้ซื้อคฤหาสน์สมัยคริสต์ศตวรรษที่ 19 ซึ่งอยู่ติดชายฝั่งแม่น้ำเทย์ เมืองแอปเบอร์เฟลดี มณฑลเพิร์ทและคินรอสส์[109] อีกทั้งยังเป็นเจ้าของบ้านแบบสถาปัตยกรรมจอร์เจียนราคากว่า 4.5 ล้านปอนด์ ที่เค็นซิงตันในลอนดอนตะวันตก[110] ตัวบ้านอยู่ติดกับถนนและมีการรักษาความปลอดภัยตลอด 24 ชั่วโมง[111]
แต่งงานใหม่และการมีครอบครัว
โรว์ลิงแต่งงานกับวิสัญญีแพทย์ นีล เมอร์เรย์ (เกิด 30 มิถุนายน ค.ศ. 1971) เมื่อวันที่ 26 ธันวาคม ค.ศ. 2001 ในพิธีแบบส่วนตัวที่คฤหาสน์ของเธอ ใกล้กันกับเมืองเมืองแอปเบอร์เฟลดี[112] หลังจากนั้นโรว์ลิงให้กำเนิดลูกชายชื่อเดวิด กอร์ดอน โรว์ลิง เมอร์เรย์ ในวันที่ 24 มีนาคม ค.ศ. 2003[113] หลังจากที่เริ่มต้นเขียน<i data-parsoid='{"dsr":[48886,48924,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเจ้าชายเลือดผสม</i>ไม่นาน เธอได้หยุดการเขียนหนังสือไว้เพื่อมาดูแลเดวิดช่วงที่เขายังเป็นทารก[114]
นอกจากนี้โรว์ลิงยังเป็นเพื่อนกับซารา บราวน์ ภรรยาของอดีตนายกรัฐมนตรีกอร์ดอน บราวน์ซึ่งพวกเขาพบกันในตอนที่ร่วมมือกันในโครงการการกุศล และเมื่อซาร่า บราว์นให้กำเนิดลูกชายเมื่อปี 2003 โรว์ลิงก็เป็นคนแรกๆที่ไปเยี่ยมเธอที่โรงพยาบาล[115] ภายหลังโรว์ลิงให้กำเนิดลูกสาวคนสุดท้องชื่อแมคแคนซี จีน โรว์ลิง เมอร์เรย์ ในวันที่ 23 มกราคม ค.ศ. 2005 ซึ่งเธอก็ได้เขียนคำอุทิศในหนังสือ<i data-parsoid='{"dsr":[49915,49954,2,2]}'>แฮร์รี่ พตอตเตอร์กับเจ้าชายเลือดผสม ให้แก่ลูกสาวเธออีกด้วย[116]
เดือนตุลาคม ปี 2012 บทความของนิตยสารนิวยอร์กได้ระบุว่าครอบครัวโรว์ลิงได้พักอาศัยอยู่บ้านสมัยคริสต์ศตวรรษที่ 17 ในเอดินบะระ มีต้นสนสูงล้อมและปกปิดหน้าบ้านไว้ ก่อนหน้านั้นโรว์ลิงเคยอาศัยอยู่ใกล้กันกับเอียน แรนคิน นักเขียนชาวสก็อต โดยเขาได้กล่าวถึงเธอว่า เธอเป็นคนเงียบๆ ชอบเหม่อลอยและดูเหมือนเธอจะเป็นคนสำคัญของลูกๆ[24][117] จากข้อมูลล่าสุดในเดือนมิถุนายน ปี 2014 ได้ระบุว่าครอบครัวโรว์ลิงยังคงอาศัยอยู่ที่สก็อตแลนด์เช่นเดิม[118]
เก้าอี้ว่าง
โรว์ลิงได้แยกทางกับคริสโตเฟอร์ ลิตเติ้ล ตัวแทนคนเก่าในเดือนกรกฎาคม ค.ศ. 2011 และได้ย้ายไปอยู่กับบริษัทตัวแทนแห่งใหม่ซึ่งก่อตั้งโดยนีล แบลร์ อดีตพนักงานของลิตเติ้ล[24][119] ในวันที่ 23 กุมภาพันธ์ ค.ศ. 2012 บริษัทแบลร์พาร์ทเนอร์ชิพ บริษัทตัวแทนใหม่ของเธอ ได้ออกมาประกาศผ่านเว็บไซต์ว่าโรว์ลิงกำลังจะมีผลงานหนังสือสำหรับผู้ใหญ่เล่มใหม่ และจากการรายงานของนักข่าว โรว์ลิงได้บอกว่าหนังสือเล่มใหม่ของเธอจะแตกต่างจากแฮร์รี่ พอตเตอร์เป็นอย่างมาก ต่อมาในเดือนเมษายน ค.ศ. 2012 สำนักพิมพ์ลิตเติ้ลบราวน์ได้ประกาศชื่อหนังสือโดยใช้ชื่อว่าเก้าอี้ว่าง (The Casual Vacancy) และจะวางแผงในวันที่ 17 กันยายน ค.ศ. 2012[120] โรว์ลิงได้ให้สัมภาษณ์และปรากฏตัวต่อสื่อมวลชนหลายครั้งเพื่อโฆษณาหนังสือของเธอ ไม่ว่าจะเป็นย่านเซาท์แบงค์ เซ็นเตอร์,[121] เทศกาลหนังสือนิยายเชลต์นัม,[122] รายการเดอะชาร์ลี โรสโชว์[123] และเทศกาลหนังสือเล็นนอกซ์เลิฟ[124] หลังการวางแผงได้สามสัปดาห์ เก้าอี้ว่างสามารถขายได้มากกว่า 1 ล้านเล่มทั่วโลก
หลังจากนั้นได้มีการประกาศในวันที่ 3 ธันวาคม ค.ศ. 2012ว่า เก้าอี้ว่างจะได้รับการดัดแปลงเป็นละครซีรีส์โทรทัศน์ทางสถานีบีบีซีวัน ได้นีล แบลร์ ตัวแทนของโรว์ลิงมารับหน้าที่เป็นผู้อำนวยการสร้าง ผลิตโดยบริษัทผลิตสื่ออิสระของเขาร่วมกับริก ซีแนท ผู้อำนวยการสร้างพิเศษ กำกับซีรีส์โดยจอห์นี แคมป์เบลล์ เป็นมินิซีรีส์ความยาวทั้งหมด 3 ตอนจบและได้ออกอากาศในสหราชอาณาจักรเมื่อวันที่15 กุมภาพันธ์ ค.ศ. 2015[125]
นวนิยายชุดคอร์โมรัน สไตรก์
ตลอดช่วงเวลาที่ผ่านมาโรว์ลิงได้พูดถึงการเขียนนวนิยายบันเทิงคดีอาชญากรรมอยู่บ่อยครั้ง จนกระทั่งในงานเทศกาลหนังสือเอดินบะระปี 2007 เอียน แรนคินได้อ้างว่าภรรยาของเขาเห็นโรว์ลิงเขียนนวนิยายแนวนักสืบไว้อย่าง"ลวกๆ" ที่ร้านกาแฟ[126] ภายหลังแรนคินได้ออกมาถอนคำพูดพร้อมกับบอกว่ามันเป็นเพียงแค่มุกตลกของเขาเท่านั้น[127] แต่ข่าวลือก็ยังคงมีอยู่ต่อไปหลังมีรายงานในปี 2012 หนังสือพิมพ์เดอะการ์เดียนได้ออกมาคาดการณ์ว่าหนังสือเล่มต่อไปของโรว์ลิงจะเป็นนวนิยายแนวบันเทิงคดีอาชญากรรม[128] และจากการให้สัมภาษณ์กับสตีเวน ไฟรเมื่อปี 2005 ที่โรว์ลิงได้บอกว่าเธออยากจะเขียนหนังสือเล่มต่อๆไปด้วยชื่อปลอม แต่เธอเองก็ได้ยอมรับกับเจเรมี แพ็กซ์แมนไว้ตั้งแต่ปี 2003 ว่าหากเธอเขียนด้วยชื่อปลอมนักข่าวอาจจะรู้ได้ในทันที[129]
ในเดือนเมษายน ค.ศ. 2013 สำนักพิมพ์ลิตเติ้ล บราวน์ได้ตีพิมพ์หนังสือ เสียงเพรียกจากคักคู ซึ่งเป็นหนังสือเล่มเปิดตัวของนักเขียนชื่อโรเบิร์ต กัลเบรธ โดยสำนักพิมพ์ได้กล่าวถึงประวัติของ กัลเบรธว่าเป็น “อดีตตำรวจสอบสวนนอกเครื่องแบบของกรมตำรวจ เขาลาออกจากกรมเมื่อปี 2003 เพื่อเข้าทำงานในบริษัทคุ้มครองสิทธิมนุษยชน”[130] หนังสือเสียงเพรียกจากคักคูเป็นเรื่องราวของคอร์โมรัน สไตร์ก นักสืบเอกชนที่ได้รับการว่าจ้างให้ไขคดีการตายของนางแบบสาวซึ่งตำรวจสันนิษฐานว่าเธอฆ่าตัวตาย หนังสือขายไปได้เกือบ 500 เล่มในรูปแบบปกแข็งจากยอดพิมพ์ทั้งหมด 1,500 เล่ม[131] และได้รับคำชื่นชมจากทั้งนักวิจารณ์[132]และนักเขียนบันเทิงคดีอาชญากรรมอีกหลายคน[130] นิตยสารพับลิชเชอร์ส วีคลี่ย์ได้วิจารณ์หนังสือเล่มนี้ว่าเป็น “การเปิดตัวที่เจิดจรัส”[133] ในขณะเดียวกันหมวดนิยายลึกลับของไลบรารี เจอร์เนิล ได้ยกย่องหนังสือเล่มนี้ให้เป็น “การเปิดตัวแห่งเดือน”[134]
อินเดีย ไนท์ นักเขียนนิยายและคอลัมนิสต์จากนิตยสารซันเดย์ ไทมส์ได้ออกมาทวีตข้อความผ่านทวิตเตอร์ว่าเธอได้อ่านเสียงเพรียกจากคักคูและคิดว่ามันเป็นนวนิยายที่ดีสำหรับการเปิดตัวครั้งแรก หลังจากนั้นได้มีผู้ใช้ทวิตเตอร์ที่ชื่อจู๊ด คาลิคการี (Jude Callegari) ได้ตอบกลับเธอไปว่าผู้เขียนหนังสือเล่มนี้คือ “โรว์ลิง” ไนท์ได้ถามเกี่ยวกับรายละเอียดของเรื่องนี้แต่ก็ไม่ได้รับการตอบกลับ[135] ไนท์จึงได้แจ้งต่อไปยังริชาร์ด บรู๊ค บรรณาธิการฝ่ายศิลป์ของซันเดย์ ไทมส์ซึ่งก็ได้เริ่มหาข้อเท็จจริงเกี่ยวกับเรื่องนี้[135][136] หลังจากนั้นเขาพบว่าโรว์ลิงและกัลเบรธต่างมีทั้งตัวแทนและบรรณาธิการเป็นคนเดียวกัน จึงได้ส่งหนังสือไปให้นักภาษาศาสตร์ตรวจสอบ ซึ่งพบความเหมือนทางภาษาหลายอย่าง จากนั้นเขาได้ติดต่อตัวแทนของโรว์ลิงก่อนจะได้รับการยืนยันว่ากัลเบรธคือชื่อปลอมของโรว์ลิง[136] ไม่กี่วันหลังการเปิดเผยว่าว่าโรว์ลิงคือผู้เขียน ยอดขายหนังสือได้พุ่งขึ้นกว่า 4,000 เปอร์เซ็นต์[135] สำนักพิมพ์ลิตเติ้ล บราวน์จึงได้ตีพิมพ์หนังสือเพิ่มอีก 140,000 เล่มเพื่อตอบรับความต้องการของผู้อ่านที่เพิ่มขึ้น[137] ในวันที่ 18 มิถุนายน ค.ศ. 2013 หนังสือฉบับพิมพ์ครั้งแรกพร้อมลายเซ็นที่ได้ขายออกไปในราคา 4,453 ดอลล่าร์สหรัฐ และมีการเสนอราคาไว้กว่า 6,188 ดอลลาร์สหรัฐสำหรับหนังสือฉบับพิมพ์ครั้งแรกพร้อมลายเซ็นซึ่งเหลือเป็นเล่มสุดท้าย[131]
โรว์ลิงได้กล่าวว่าเธอรู้สึกสนุกกับการเขียนหนังสือภายใต้ชื่อปลอม[138] โดยเธอได้อธิบายที่มาของชื่อนี้วไว้ในเว็บไซต์โรเบิร์ต กัลเบรธของเธอว่าชื่อมีที่มาจากโรเบิร์ต เคนเนดี ซึ่งเป็นหนึ่งในวีรบุรุษของเธอและจากชื่อเอลล่า กัลเบรธ ชื่อที่เธอเคยอยากให้คนอื่นเรียกเธอเมื่อตอนยังเป็นเด็ก[139]
ไม่นานหลังการเปิดเผย บรู๊คคิดว่าจู๊ด คาลิคการีอาจเป็นส่วนหนึ่งของแผนการของโรว์ลิง เพื่อเรียกความสนใจของสาธารณชนต่องานเขียนของเธอ[135] โดยจูดี้ “จู๊ด” คาลิคการี เป็นเพื่อนสนิทกับภรรยาของคริส กอสเซจ ผู้ร่วมหุ้นของบริษัททนายความรัสเซลล์และตัวแทนด้านกฎหมายของโรว์ลิง[140][141] โรว์ลิงก็ได้ออกคำแถลงกล่าวว่าเธอรู้สึกโกรธและผิดหวัง[140] ภายหลังรัสเซลจึงได้ออกมาขอโทษเรื่องข่าวหลุดและยืนยันว่าไม่ใช่แผนการตลาด[137]และได้บริจาคเงินให้กับมูลนิธิทหารในนามของโรว์ลิงเพื่อเป็นค่าชดใช้ทางกฎหมายแก่โรว์ลิง[142] ในวันที่ 26 พฤศจิกายน ค.ศ. 2013 สำนักงานควบคุมระเบียบทนายความ (SRA) ได้ออกมาตำหนิกอสเซจผ่านทางจดหมายและปรับเงินเขาอีก 1,000 ปอนด์ เนื่องจากการละเมิดกฎสิทธิส่วนบุคคลของลูกความ[143]
ในวันที่ 17 กุมภาพันธ์ ค.ศ. 2014 โรว์ลิงได้ประกาศว่าหนังสือเล่มที่สองของชุดนวนิยายคอร์โมรัน สไตรก์จะวางแผงในเดือนมิถุนายน ปี 2014 และจะใช้ชื่อเรื่องว่า 'หนอนไหม เนื้อหาเกี่ยวข้องกับการสืบหาการหายตัวไปของนักเขียนที่เป็นที่จงเกลียดจงชังของเพื่อนๆ จากการที่เขาได้เย้ยหยันเพื่อนๆลงไปในนิยายเล่มใหม่ของเขา[144]
ในปี 2015 โรว์ลิงได้กล่าวผ่านเว็บไซต์โรเบิร์ต กัลเบรธว่าหนังสือเล่มที่สามของชุดนวนิยายคอร์โมรัน สไตรก์ ว่า "จะมีแผนการวิกลจริตจำนวนมาก มากที่สุดตั้งแต่ที่ฉันเคยเขียนหนังสือมา"[145] หลังจากนั้นในวันที่ 24 เมษายน ค.ศ. 2015 โรว์ลิงได้ประกาศว่าเธอเขียนจบแล้วและหนังสือจะวางแผงในช่วงปลายปี 2015 ใช้ชื่อเรื่องว่า Career of Evil[146]
งานเขียนในอนาคต
เมื่อปี 2006 โรว์ลิงประกาศว่าเธอกำลังเขียนเรื่องสั้นจำนวนหนึ่งและหนังสือเด็กอีกหนึ่งเล่ม (เทพนิยายการเมือง) ซึ่งเป็นเรื่องราวเกี่ยวกับปีศาจ โดยกลุ่มเป้าหมายจะเป็นผู้อ่านที่อายุน้อยกว่าผู้อ่านแฮร์รี่ พอตเตอร์[147] จากนั้นในเดือนกรกฎาคม ค.ศ. 2007 โรว์ลิงบอกว่าเธอต้องการใช้เวลาร่วมกับครอบครัวของเธอให้มากขึ้นแต่เป็นเพราะเธอกำลังเขียนหนังสืออยู่สองเล่ม เป็นหนังสือเด็กหนึ่งเล่มและหนังสือผู้ใหญ่อีกหนึ่งเล่ม[148] เธอไม่ได้ให้รายละเอียดเกี่ยวกับนิยายทั้งสองเรื่อง เพียงแค่กล่าวว่าเธอรู้สึกตื่นเต้นเนื่องจากการเขียนหนังสือสองเรื่องทำให้เธอนึกถึงตอนที่เธอเขียนศิลาอาถรรพ์ เธออธิบายว่ารู้สึกยังไงในตอนนั้นที่เธอเขียนหนังสือสองเรื่องไปพร้อมๆกัน จนกระทั่งแฮร์รี่ พอตเตอร์ได้เข้ามาแทนที่ในที่สุด[149]
ในเดือนพฤศจิกายน ปี 2007 โรว์ลิงบอกว่าเธอกำลังเขียนหนังสืออีกหนึ่งเล่ม โดยกล่าวว่า “หนังสือสำหรับเด็กที่ตอนนี้เขียนเสร็จไปกว่าครึ่งก็อาจเป็นหนังสือเล่มต่อไปที่ฉันจะตีพิมพ์”[150] ต่อมาในเดือนมีนาคม ปี 2008 โรว์ลิงกล่าวในบทสัมภาษณ์ว่าเธอได้กลับไปเขียนหนังสือที่ร้านกาแฟในเอดินบะระอีกครั้ง[151] และตั้งใจจะเขียนนิยายสำหรับเด็กเรื่องใหม่ ซึ่งโรว์ลิงยังยืนยันว่าเทพนิยายการเมืองสำหรับเด็กของเธอใกล้ที่จะสมบูรณ์แล้ว[152]
ในเดือนกันยายน ปี 2012 โรว์ลิงกล่าวว่าเธอกำลังเขียนหนังสือสองเล่มสำหรับผู้อ่านที่อายุน้อยกว่าแฮร์รี่ พอตเตอร์[24] ในการให้สัมภาษณ์กับเดอะการ์เดียนเธอยังคงพูดเหมือนครั้งก่อนว่าหนึ่งในนิยายสองเรื่องยังเป็นหนังสือ“เทพนิยายการเมือง” ถึงแม้เธอคาดหมายว่าจะนำหนังสือเล่มอื่นของเธอออกวางขายก่อนก็ตาม[153] ที่งานเทศกาลหนังสือนิยายเชลต์นัมเมื่อวันที่ 6 ตุลาคม ค.ศ. 2012 เธอได้บอกว่าเธอมีนิยายอยู่สองเรื่องในแล็ปท็อปของเธอ ซึ่งเธอตั้งใจเขียนให้กลุ่มผู้อ่านที่อายุต่ำกว่าผู้อ่านแฮร์รี่ พอตเตอร์เล็กน้อยและใกล้ที่จะเขียนเสร็จแล้ว[154]
อนาคตของแฮร์รี่ พอตเตอร์
โรว์ลิงเคยพูดไว้ว่าคงเป็นไปได้ยากที่เธอจะเขียนหนังสือแฮร์รี่ พอตเตอร์เล่มใหม่อีก[155] ในเดือนตุลาคม ค.ศ. 2007 เธอได้บอกว่างานเขียนในอนาคตของเธอคงจะไม่ใช่แนวแฟนตาซี[156] และถึงแม้เธอจะเคยให้สัมภาษณ์กับโอปราห์ วินฟรีย์ในวันที่ 1 ตุลาคม ค.ศ. 2010 ว่ามีความเป็นไปได้ที่หนังสือชุดแฮร์รี่ พอตเตอร์เล่มใหม่จะเกิดขึ้น[157] แต่จากการสัมภาษณ์ล่าสุดกับรายการเดอะทูเดย์โชว์ เธอกล่าวว่าเธอไม่ได้กำลังเขียนแฮร์รี่ พอตเตอร์เล่มใหม่และคิดว่าหนังสือแฮร์รี่ พอตเตอร์เล่มที่แปดคงจะไม่เกิดขึ้น[158]
ในปี 2007 โรว์ลิงกล่าวว่า เธอมีแผนที่จะเขียนหนังสือสารานุกรมเกี่ยวกับโลกเวทมนตร์ของแฮร์รี่ พอตเตอร์ ซึ่งรวบรวมเนื้อหาสาระและข้อความสำคัญต่างๆที่ยังไม่เคยได้ตีพิมพ์[159] โดยกำไรจากการขายทั้งหมดจะมอบให้แก่การกุศล[160] ในระหว่างงานแถลงข่าวที่โรงละครโกดักเธียเตอร์เมื่อปี 2007 โรว์ลิงได้ถูกถามถึงสารานุกรมของเธอว่าพัฒนาไปถึงไหนแล้ว เธอได้ตอบกลับไปว่า “มันยังไม่ได้พัฒนาไปถึงไหน และฉันก็ยังไม่เริ่มเขียน ฉันไม่เคยบอกว่ามันจะเป็นสิ่งต่อไปที่ฉันจะทำ”[161] ปลายปี 2007 โรว์ลิงได้บอกว่า สารานุกรมเล่มนี้อาจต้องใช้เวลากว่า 10 ปีจึงจะเขียนเสร็จ[162]
ในเดือนมิถุนายน ปี 2011 โรว์ลิงได้ประกาศว่าโครงการในอนาคตของแฮร์รี่ พอตเตอร์และการดาวน์โหลดทางอิเล็กทรอนิกส์ทั้งหมด จะปรากฏอยู่บนเว็บไซต์พอตเตอร์มอร์เป็นหลัก[163] ซึ่งเป็นเว็บไซต์ที่รวบรวมข้อมูลของตัวละคร, สถานที่และสิ่งของในจักรวาลแฮร์รี่ พอตเตอร์ไว้กว่า 18,000 คำ[164]
งานด้านการกุศล
โรว์ลิงก่อตั้งมูลนิธิเดอะโวแลนท์ชาร์ลิตีทรัสขึ้น มีเงินในกองทุนกว่า 5.1 ล้านปอนด์เพื่อต่อต้านปัญหาความยากจนและความไม่เท่าเทียมในสังคม กองทุนนี้ยังมอบเงินให้แก่องค์กรที่ช่วยเหลือเด็ก ครอบครัวพ่อแม่เลี้ยงเดี่ยวและผู้ป่วยโรคปลอกประสาทเสื่อมแข็งอีกด้วย[148][165]
หน่วยงานสงเคราะห์เด็กและต่อต้านความยากจน
โรว์ลิงซึ่งครั้งหนึ่งก็เคยเป็นแม่เลี้ยงเดี่ยว ณ ตอนนี้เธอรับตำแหน่งเป็นประธานของมูลนิธิคอมมิครีลิฟ (ชื่อเดิมคือ วันแพเรนท์แฟมิลี) เธอได้เป็นผู้แทนของมูลนิธิคนแรกเมื่อปี 2000[166][167] โรว์ลิงร่วมมือกับซาร่า บราวน์ ในการเขียนหนังสือเด็กเพื่อให้ช่วยเหลือความช่วยเหลือแก่มูลนิธิวันแพเรท์แฟมิลีส์[168]
ในปี 2001 ณ งานระดมทุนต่อต้านความยากจนของมูลนิธิคอมมิครีรีฟได้เชิญสามนักเขียนหนังสือขายดีชาวอังกฤษ ได้แก่ ดีเลีย สมิธ นักเขียนหนังสือทำอาหาร, เฮเลน ฟีลดิง และโรว์ลิง เพื่อการนำเสนอผลงานที่เกี่ยวข้องกับงานเขียนที่มีชื่อเสียงที่สุดของพวกเขาแก่สาธารณะ[169] โรว์ลิงเขียนหนังสือเล่มเล็กสองเล่มคือ สัตว์มหัศจรรย์และถิ่นที่อยู่และควิดดิชในยุคต่างๆ โดยออกแบบให้ดูเหมือนหนังสือในห้องสมุดฮอกวอตส์ นับตั้งแต่การวางขายในเดือนมีนาคม ปี 2001 หนังสือทั้งสองเล่มสร้างรายได้เข้ากองทุนกว่า 15.7 ล้านปอนด์และอีกกว่า 10.8 ล้านปอนด์จากการขายนอกสหราชอาณาจักร รายได้ได้นำไปมอบให้กับกองทุนนานาชาติเพื่อช่วยเหลือเด็กและเยาวชนที่ประสบภัยพิบัติ[170] ในปี 2002 โรว์ลิงได้เขียนคำนำให้หนังสือเรื่อง เมจิก หนังสือรวมบทประพันธ์ที่ตีพิมพ์โดยสำนักพิมพ์บลูมบิวส์ลีเพื่อมอบรายได้ให้แก่สภานานาชาติเพื่อพ่อแม่เลี้ยงเดี่ยว[171]
ในปี 2005 โรว์ลิงและสมาชิกสภายุโรป เอ็มมา นิโคลสัน ได้ร่วมกันก่อตั้งมูลนิธิชิลเดรนไฮเลเวลกรุ๊ป (ภายหลังเปลี่ยนชื่อเป็น ลูมอส)[172] นอกจากนั้นในเดือนมกราคม ค.ศ. 2006 โรว์ลิงเดินทางไปที่บูคาเรสต์เพื่อเน้นย้ำถึงการใช้เตียงลูกกรงกับเด็กในโรงพยาบาลจิตเวช[173] และเพื่อเป็นการสนับสนุนแก่มูลนิธิชิวเดรนไฮเลเวลกรุ๊ป โรว์ลิงเปิดให้ประมูลหนึ่งในเจ็ดเล่มของหนังสือนิทานของบีเดิลยอดกวี ซึ่งเป็นผลงานรวมนิทานที่มีการกล่าวถึงในแฮร์รี่ พอตเตอร์กับเครื่องรางยมทูต โดยเธอได้เขียนและวาดภาพประกอบด้วยมือเธอเอง และถูกซื้อไปในราคา 1.95 ล้านปอนด์จากการซื้อผ่านเว็บไซต์อเมซอน.คอมเมื่อวันที่ 13 ธันวาคม ค.ศ. 2007 เป็นหนังสือที่มีราคาแพงที่สุดตลอดกาลจากการประมูล[174][174][175] โรว์ลิงมอบหนังสืออีกหกเล่มที่เหลือคนที่ใกล้ชิดกับหนังสือแฮร์รี่ พอตเตอร์[174] จากนั้นในปี 2008 โรว์ลิงตกลงให้มีการตีพิมพ์หนังสือ ซึ่งรายได้ทั้งหมดจะมอบให้กับมูลนิธิลูมอส[117] ต่อมาในเดือนพฤศจิกายน ค.ศ. 2013 โรว์ลิงส่งมอบรายได้ทั้งหมดจากการขายหนังสือนิทานของบีเดิลยอดกวีแก่มูลนิธิลูมอสเป็นจำนวนเงินกว่า 19 ล้านปอนด์[176]
การช่วยเหลือผู้ป่วยโรคปลอกประสาทเสื่อมแข็ง
โรว์ลิงได้มอบเงินและให้การสนับสนุนแก่งานวิจัยและการรักษาโรคปลอกประสาทเสื่อมแข็ง ซึ่งเป็นโรคที่แม่ของเธอป่วยก่อนที่จะเสียชีวิตลงในปี 1990 จากนั้นในปี 2006 โรว์ลิงบริจาคเงินจำนวนมากเพื่อการสร้างศูนย์ปฏิรูปทางการแพทย์แห่งใหม่ที่มหาวิทยาลัยเอดินบะระ ภายหลังใช้ชื่อว่าคลินิคแอนน์ โรว์ลิงเพื่อการปฏิรูปประสาทวิทยา[177] ในปี 2010 เธอบริจาคเงินให้กับศูนย์เพิ่มอีก 10 ล้านปอนด์[178] นอกจากนี้ประเทศสก็อตแลนด์ซึ่งเป็นประเทศที่โรว์ลิงให้การดูแลอยู่ยังมีอัตราผู้ป่วยโรคปลอกประสาทเสื่อมแข็งมากที่สุดในโลกอย่างไม่ทราบเหตุผลแน่ชัด ในปี 2003 โรว์ลิงได้เข้าร่วมการรณรงค์เพื่อสร้างมาตรฐานสากลเกี่ยวกับการดูแลผู้ปวยโรคนี้[179] อย่างไรก็ตามในปี 2009 เธอประกาศขอถอนตัวออกจากการเป็นผู้อุปถัมภ์ของสมาคมผู้ป่วยโรคปลอกประสาทเสื่อมแข็งในสก็อตแลนด์หรือเอ็มเอสเอสเอส พร้อมระบุว่าเธอไม่สามารถแก้ไขปัญหาความบาดหมางกันระหว่างองค์กรทางเหนือกับสาขาทางใต้ที่มีอย่างไม่หยุดยั้งได้ เป็นการบั่นทอนกำลังใจและนำไปสู่การลาออกในที่สุด[179]
งานการกุศลด้านอื่น
ในเดือนพฤษภาคม ปี 2008 ร้านหนังสือวอเทอร์สโตนส์ได้เสนอให้โรว์ลิงและนักเขียนอีกสิบสองคน (อาทิ ดอริส เลสซิง, นิก ฮอร์นบี, มาร์กาเร็ต แอทวูด เป็นต้น) เพื่อให้เขียนเรื่องสั้นของพวกเขาลงบนกระดาษการ์ดขนาดA5 ซึ่งจะมีการนำไปประมูลเพื่อช่วยเหลือมูลนิธิดิสเล็กเซียแอคชันเพื่อผู้ป่วยภาวะเสียการอ่านเข้าใจและสมาคมPENของอังกฤษ งานเขียนของโรว์ลิงคือพรีเควลแฮร์รี่ พอตเตอร์ ความยาม 800 คำ เกี่ยวข้องกับเรื่องราวของเจมส์ พอตเตอร์กับซีเรียส แบล็ก พ่อและพ่อทูนหัวของแฮร์รี่ ซึ่งเป็นเรื่องราวที่เกิดขึ้นสามปีก่อนแฮร์รี่เกิด พรีเควลได้ถูกนำออกแสดงและขายเพื่อการกุศลในรูปแบบหนังสือเมื่อเดือนสิงหาคม ค.ศ. 2008[180]
ในวันที่ 1 และ 2 สิงหาคม ค.ศ. 2006 เธอได้อ่านหนังสือร่วมกับสตีเฟน คิงและจอห์น เออร์วิงในงานที่เรดิโอซิตี้ มิวสิกฮอลล์ในนครนิวยอร์ก โดยกำไรจากงานได้นำไปบริจาคให้กับองค์การแพทย์ไร้พรมแดนและมูลนิธิเดอะเฮเว่น ซึ่งเป็นมูลนิธิที่มุ่งช่วยเหลือศิลปินและนักแสดงที่ไม่สามารถช่วยเหลือตัวเองหรือทำงานได้[181] ต่อมาในเดือนพฤษภาคม ค.ศ. 2007 โรว์ลิงได้สัญญาที่จะบริจาคเงินมากกว่า 250,000 ปอนด์ (ตามรายงานของนิวส์ออฟเดอะเวิลด์) เพื่อเป็นเงินรางวัลตอบแทนหากแมเดลีน แม็คเคนน์ เด็กสาววัยสามขวบที่หายตัวไปที่ประเทศโปรตุเกสกลับมาได้อย่างปลอดภัย[182] โรว์ลิงยังได้ร่วมกับเนลสัน แมนเดลา, อัล กอร์ และอลัน กรีนสแปน ในการเขียนคำนำแก่บทรวมสุนทรพจน์ของกอร์ดอน บราวน์ เพื่อนำรายได้ไปมอบให้กับห้องปฏิบัติการวิจัยของเจนิเฟอร์ บราวน์[183] และหลังจากที่มีการเปิดเผยว่าเธอคือผู้เขียนหนังสือเสียงเพรียกจากคักคู ยอดขายหนังสือก็ได้พุ่งสูงขึ้นอย่างมาก โรว์ลิงจึงได้ประกาศว่าเธอจะบริจาคเงินค่าลิขสิทธิ์ของเธอให้กับกองทุนการกุศลกองทัพ โดยบอกว่าเธอตั้งใจที่จะทำมาตลอดแต่ไม่เคยคิดว่าหนังสือจะขายดี[184]
โรว์ลิงยังให้การสนับสนุนมูลนิธิแชนนอนทรัสต์ ซึ่งเป็นมูลนิธิที่ดำเนินโครงการโทลบายโทลรีดดิงและโครงการเดอะแชนนอนรีดดิงในคุกของเกาะอังกฤษ ให้การช่วยเหลือและให้ความรู้แก่นักโทษที่ไม่สามารถอ่านหนังสือออก[185]
แรงบันดาลใจ
โรว์ลิงได้ระบุชื่อเจสสิกา มิดฟอร์ด นักเขียนผู้นิยมลัทธิคอมมิวนิสต์และนักเคลื่อนไหวด้านสิทธิมนุษยชน ให้เป็นนักเขียนที่มีอิทธิพลต่อเธอมากที่สุด เธอกล่าวว่า "เจสสิกา มิดฟอร์ดได้กลายเป็นวีรสตรีของฉันตั้งแต่ฉันอายุ 14 ปี ในตอนที่ฉันบังเอิญได้ยินพี่สาวของปู่ที่น่ายำเกรงของฉันเล่าว่ามิดฟอร์ดหนีออกจากบ้านตั้งแต่อายุ 19 เพื่อร่วมต่อสู้กับสาธารณรัฐสเปนในสงครามกลางเมืองสเปนได้อย่างไร" และพร้อมกับเสริมว่าสิ่งที่ให้แรงบันดาลใจต่อเธอมากที่สุดก็คือการที่มิดฟอร์ดเป็น "คนหัวขบถอย่างที่ไม่อาจจะเปลี่ยนแปลงได้และเป็นโดยกำเนิด กล้าหาญ ชอบผจญภัย ตลกและไม่เลื่อมใสต่อสิ่งใด เธอไม่ชอบอะไรมากไปกว่าการได้ต่อสู้ โดยเฉพาะอย่างยิ่งกับคนขี้อวดและหลอกลวง"[186] โรว์ลิงได้บอกว่าเจน ออสเตนคือนักเขียนคนโปรดของเธอ[187] เธอได้บอกกับนิตยสารโอแมกกาซีนว่า เอ็มมา คือหนังสือที่เธอชอบที่สุด[188] ส่วนในช่วงวัยเด็ก โรว์ลิงได้กล่าวว่าแรงบันดาลใจแรกๆของเธอคือหนังสือเรื่องตู้พิศวง ของซี. เอส. ลิวอิส, ม้าน้อยสีขาว ของเอลิซาเบ็ธ กูดจ์ และ<i data-parsoid='{"dsr":[82819,82835,2,2]}'>หนูกระเบื้อง ของพอล กาลลิโก[189]
มุมมองของโรว์ลิง
ด้านการเมือง
ในเดือนกันยายน ค.ศ. 2008 หนึ่งวันก่อนการประชุมใหญ่ประจำปีของพรรคแรงงาน โรว์ลิงประกาศว่าเธอได้บริจาคเงินจำนวน 1 ล้านปอนด์ให้แก่พรรคแรงงานและมอบเช็คเงินอย่างเปิดเผยให้กับกอร์ดอน บราวน์ หัวหน้าพรรคแรงงานในการลงชิงตำแหน่งกับเดวิด แคเมรอน ผู้ชิงตำแหน่งจากพรรคอนุรักษ์นิยม เธอยังกล่าวชื่นชมนโยบายแก้ปัญหาความยากจนในเด็กของพรรคแรงงานอีกด้วย[190]
โรว์ลิงได้แสดงความคิดเห็นเกี่ยวกับการเลือกตั้งการเลือกตั้งประธานาธิบดีสหรัฐอเมริกา ปี 2008กับหนังสือพิมพ์เอล ปาอิสของสเปนในเดือนกุมภาพันธ์ ค.ศ. 2008 โดยกล่าวว่าการเลือกตั้งในครั้งนี้จะส่งผลกระทบอย่างลึกซึ้งต่อประเทศอื่นทั่วโลกและยังกล่าวว่าบารัก โอบามาและฮิลลารี คลินตันจะกลายเป็นบุคคลที่ "ไม่ธรรมดา" ของทำเนียบขาว ในบทสัมภาษณ์เดียวกันโรว์ลิงยังได้ระบุว่าโรเบิร์ต เอฟ. เคนเนดีคือวีรบุรุษของเธอ[191]
ในเดือนเมษายน ค.ศ. 2010 โรว์ลิงได้ตีพิมพ์บทความลงในนิตยสารไทม์ เธอได้ออกมาวิพากษ์วิจารณ์นโยบายของเดวิด แคเมรอนที่สนับสนุนให้คู่สามีภรรยาที่แต่งงานแล้วอยู่ร่วมกันพร้อมเสนอเงินลดหย่อนภาษี 150 ปอนด์ต่อปี โรว์ลิงได้กล่าวว่า "ไม่มีคนที่เคยพบเจอกับความยากจนคนไหนจะพูดว่า 'มันไม่เกี่ยวกับเงิน แต่เกี่ยวกับประเด็นที่ส่งออกไป' เมื่อแฟลตของคุณโดนงัดแล้วคุณไม่มีเงินจ่ายให้ช่างทำกุญแจนั่นก็เกี่ยวกับเงิน หรือเมื่อคุณพบว่าคุณกำลังคิดจะขโมยผ้าอ้อมในร้านค้า นั่นก็เพราะเงิน ถ้าคุณแคเมรอนแค่แนะนำในภาคปฏิบัติให้ผู้หญิงที่อยู่อย่างยากจน เลี้ยงลูกลำพังให้ 'แต่งงานสิแล้วเราจะลดหย่อนให้คุณ 150 ปอนด์' เขาก็คงเปิดเผยตัวเองว่าเป็นคนที่ไม่ได้รับรู้ถึงสถานการณ์ของพวกเขาอย่างแท้จริง"[192][193]
เนื่องจากเธออาศัยอยู่ในประเทศสก็อตแลนด์ โรว์ลิงจึงมีสิทธิ์ลงประชามติในการลงประชามติเอกราชสกอตแลนด์ ค.ศ. 2014และได้รณรงค์ให้ลงมติ"คัดค้าน"[153] เธอบริจาคเงินจำนวน 1 ล้านปอนด์ให้แก่กลุ่มเบทเทอร์ ทูเกเตอร์ที่ต่อต้านการแบ่งแยกประเทศ (ก่อตั้งโดยอลิสแตร์ ดาร์ลิง อดีตเพื่อนบ้านของเธอ)[118] ซึ่งเป็นเงินบริจาคที่มากที่สุด ณ ตอนนั้น โรว์ลิงยังได้เปรียบเทียบกลุ่มชาตินิยมสก็อตแลนด์กับผู้เสพความตาย กลุ่มตัวละครจากแฮร์รี่ พอตเตอร์ที่รังเกียจผู้คนทุกคนที่ไม่ใช่สายเลือดบริสุทธ์[194]
ด้านศาสนา
เป็นเวลาหลายปีที่กลุ่มคนนับถือศาสนาโดยเฉพาะคริสต์ศาสนิกชน ได้ประณามหนังสือของโรว์ลิงว่าส่งเสริมเรื่องเวทมนตร์คาถาว่าเป็นเรื่องจริง โรว์ลิงระบุว่าเธอเป็นคริสต์ศาสนิกชน[195] และเข้าคริสตจักรแห่งสก็อตแลนด์ในระหว่างที่เธอเขียนแฮร์รี่ พอตเตอร์ ซึ่งเป็นสถานที่ที่เจสสิกา ลูกสาวของเธอเข้ารับพิธีล้างบาป[195][196] เธอเคยบอกไว้ครั้งหนึ่งว่า "ฉันเชื่อในพระเจ้า ไม่ใช่เวทมนตร์"[197] ในช่วงแรกเธอเคยรู้สึกว่า หากผู้อ่านทราบถึงความเชื่อในศาสนาคริสต์ของเธอก็อาจจะสามารถเดาเนื้อเรื่องของเธอออกได้[198]
ในปี 2007 โรว์ลิงเล่าว่าในวัยเด็กเธอเข้าคริสตจักรแห่งอังกฤษและเป็นคนเดียวในครอบครัวที่ไปโบสถ์เป็นประจำ จนกระทั่งในช่วงที่เรียนมหาวิทยาลัยเธอรู้สึกรำคราญความเชื่อส่วนบุคคลของคนที่นับถือศาสนาจึงเข้าโบสถ์น้อยครั้งลง แต่ภายหลังเธอก็หันกลับมาเข้าโบสถ์อีกครั้งที่โบสถ์นิกายโปรแตสแตนต์ในเอดินบะระ[199]
ในบทสัมภาษณ์กับนิตยสารแท็ทเลอร์เมื่อปี 2006 โรว์ลิงระบุว่า "ฉันก็เหมือนกับเกรแฮม กรีน บางครั้งศรัทธาของฉันก็อยู่ที่ว่าถ้ามันจะกลับมามันก็ต้องสำคัญต่อฉัน"[19] เธอกล่าวว่าเธอได้ต่อสู้กับข้อสังสัยที่ว่าเธอเชื่อในชีวิตหลังความตาย[200]และความเชื่อส่วนตัวของเธอที่มีบทบาทในหนังสือ[201][202][203] ในบทสัมภาษณ์ทางวิทยุเมื่อปี 2012 เธอได้บอกว่าเธอเป็นสมาชิกของคริสตจักรสกอตติชอีปิสโคปัล ซึ่งเป็นคริสตจักรหนึ่งของแองกลิคันคอมมิวเนียน[204]
มุมมองต่อนักข่าว
โรว์ลิงมีความสัมพันธ์ที่ยากลำบากกับนักข่าวมาโดยตลอด เธอยอมรับว่าเธอเป็นคนประเภท"ขี้หงุดหงิด"และไม่ชอบความไม่แน่นอนของการรายงานข่าว โรว์ลิงได้ตอบโต้ความมีชื่อเสียงของเธอด้วยการเป็นคนรักสันโดษที่เกลียดการโดนสัมภาษณ์[205]
ในช่วงปี 2011 โรว์ลิงได้แสดงอาการต่อหน้านักข่าวกว่า 50 ครั้ง[206] ในปี 2001 คณะกรรมการการร้องทุกข์นักข่าวได้รับการร้องทุกข์ของโรว์ลิงเกี่ยวกับชุดภาพถ่ายที่ถ่ายโดยช่างภาพนิรนามซึ่งถูกตีพิมพ์ลงในนิตยสารโอเค!แมกกาซีน เป็นภาพของเธอกับลูกสาวที่นั่งอยู่บนม้านั่งในประเทศมอริเชียส[207] ต่อมาในปี 2007 เดวิด ลูกชายของโรว์ลิงซึ่งโรว์ลิงและสามีของเธอให้การช่วยเหลือ โดยได้รับคำตัดสินของศาลให้แพ้คดีจากการฟ้องร้องเพื่อสั่งระงับสิ่งพิมพ์ที่ตีพิมพ์รูปถ่ายของเดวิด ซึ่งรูปถูกถ่ายด้วยกล้องเลนส์ยาวและต่อมาได้มีการตีพิมพ์ลงในนิตยสารซันเดย์เอกซ์เพรสส์ในบทความที่เขียนถึงชีวิตครอบครัวของโรว์ลิงและความเป็นแม่ของเธอ อย่างไรก็ตามในเดือนกุมภาพันธ์ ค.ศ. 2008 ศาลได้กลับคำตัดสินให้เป็นความชอบธรรมของเดวิดในที่สุด[208]
โรว์ลิงเกลียดแท็บลอยด์ของอังกฤษโดยเฉพาะเดลิเมล์ จากการที่นำเสนอบทสัมภาษณ์ของสามีเก่าของเธอ ทำให้นักข่าวคนหนึ่งได้กล่าวว่า "เวอร์นอน ลุงของแฮร์รี่ เป็นคนป่าเถื่อนอย่างพิดารและไร้สมองอย่างน่าประหลาด มันจึงไม่ยากเลยที่จะคาดเดาว่าโรว์ลิงเขียนให้เขาอ่านหนังสือพิมพ์เล่มไหน (ในถ้วยอัคนี)" นับจากเดือนมกราคม ค.ศ. 2014 โรว์ลิงพยายามเรียกร้องค่าเสียหายจากเดลิเมลล์ที่ได้เขียนโจมตีเธอผ่านบทความเกี่ยวกับช่วงที่เธอเป็นแม่เลี้ยงเดี่ยว และทำให้มีการคาดเดากันว่าความสัมพันธ์ที่เต็มไปด้วยปัญหาระหว่างโรว์ลิงกับนักข่าวเป็นแรงบันดาลใจเบื้องหลังตัวละครริต้า สกีตเตอร์ นักข่าวซุบซิบคนดังที่ปรากฏตัวครั้งแรกใน<i data-parsoid='{"dsr":[92590,92622,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์กับถ้วยอัคนี แต่โรว์ลิงก็ได้ระบุในปี 2008ว่าเธอสร้างตัวละครนี้ขึ้นก่อนที่เธอจะมีชื่อเสียง
ในเดือนกันยายน ค.ศ. 2011 โรว์ลิงได้รับการระบุชื่อโดยคณะกรรมการสอบสวนเลเวอสันเพื่อการปฏิรูปทางวัฒนธรรมและจริยธรรมของนักข่าวอังกฤษว่าเธอจัดเป็นหนึ่งในสิบสองคนดังที่อาจตกเป็นเหยื่อของการดักฟังทางโทรศัพท์[209] ในวันที่ 24 พฤศจิกายน ค.ศ. 2011 โรว์ลิงได้ให้หลักฐานก่อนการสอบสวนแม้เธอจะไม่สงสัยว่าตัวเองตกเป็นเหยื่อของการดักฟังทางโทรศัพท์ก็ตาม[210] โดยหลักฐานที่เธอให้การสอบปากคำอาทิเช่น กรณีที่นักข่าวได้ตั้งค่ายที่หน้าบ้านของเธอ[210], กรณีนักข่าวเขียนข้อความและใส่ลงในกระเป๋าของลูกสาวเธอและการที่เดอะซันพยายามจะแบล็กเมลล์เธอด้วยรูปถ่ายเพื่อแลกเปลี่ยนกับต้นฉับงานเขียนที่โดนขโมยไป[211] เป็นต้น โรว์ลิงได้อ้างว่าเธอย้ายออกจากบ้านเดิมที่เมอชีสตันก็เพราะการโดนล่วงล้ำจากนักข่าว ต่อมาในเดือนพฤศจิกายน ค.ศ. 2012 โรว์ลิงเขียนบทความลงในเดอะการ์เดียนเพื่อเป็นการตอบโต้การตัดสินใจของเดวิด แคเมรอนที่ไม่ให้คำแนะนำที่เต็มรูปแบบแก่คณะสอบสวนเลเวอสัน เธอยังกล่าวว่าเธอรู้สึก "โกรธและเหมือนโดนหลอก"[212]
ในปี 2014 โรว์ลิงได้ยืนยันที่จะให้การสนับสนุนต่อแคมเปญ "แฮกออฟ" เพื่อการกำกับตัวเองของนักข่าว ด้วยการเซ็นคำแถลงการณ์ร่วมกับคนดังชาวอังกฤษคนอื่นๆ ซึ่งคำแถลงการณ์มีจุดประสงค์เพื่อ "คุ้มครองนักข่าวจากการแทรกแซงทางการเมืองพร้อมกับให้การป้องกันที่จำเป็นต่อกลุ่มที่เสี่ยง"[213]
รางวัลและเกียรติยศ
โรว์ลิงได้รับปริญญากิตติมศักดิ์จากมหาวิทยาลัยเซนต์แอนดรูส์, มหาวิทยาลัยเอดินบะระ, มหาวิทยาลัยเอดินเบอระเนเปียร์, มหาวิทยาลัยเอ็กซิเตอร์,[214] มหาวิทยาลัยแอเบอร์ดีน[215][216] และมหาวิทยาลัยฮาร์วาร์ด ซึ่งเธอได้ขึ้นการสุนทรพจน์ในวันสำเร็จการศึกษาเมื่อปี 2008[217] ต่อมาในปี 2009 โรว์ลิงได้รับเครื่องอิสริยาภรณ์เลฌียงดอเนอร์จากนีกอลา ซาร์กอซี[29]
รางวัลอื่นที่ได้รับ ได้แก่:[66]
ค.ศ. 1997: Nestlé Smarties Book Prize, Gold Award สำหรับ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์
ค.ศ. 1998: Nestlé Smarties Book Prize, Gold Award สำหรับ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับห้องแห่งความลับ
ค.ศ. 1998: British Children's Book of the Year, มอบแก่ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์
ค.ศ. 1999: Nestlé Smarties Book Prize, Gold Award สำหรับ Harry Potter and the Prisoner of Azkaban
ค.ศ. 1999: National Book Awards Children's Book of the Year, มอบแก่ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับห้องแห่งความลับ
ค.ศ. 1999: 1999 Whitbread Awards|Whitbread Children's Book of the Year, มอบแก่ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับนักโทษแห่งอัซคาบัน
ค.ศ. 2000: British Book Awards, Author of the Year[71]
ค.ศ. 2000: Order of the British Empire, Officer (for services to Children's literature)
ค.ศ. 2000: Locus Award, มอบแก่ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับนักโทษแห่งอัซคาบัน
ค.ศ. 2001: Hugo Award for Best Novel, winner แฮร์รี่ พอตเตอร์กับถ้วยอัคนี
ค.ศ. 2003: Premio Príncipe de Asturias, Concord
ค.ศ. 2003: Bram Stoker Award for Bram Stoker Award for Best Work for Young Readers|Best Work for Young Readers, มอบแก่ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับภาคีนกฟีนิกซ์
ค.ศ. 2006: British Book of the Year, มอบแก่ แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเจ้าชายเลือดผสม
ค.ศ. 2007: Blue Peter Badge, Gold
ค.ศ. 2008: British Book Awards, Outstanding Achievement
ค.ศ. 2010: Hans Christian Andersen Literature Award, inaugural award winner
ค.ศ. 2011: British Academy Film Awards, รางวัลคุโณปการดีเด่นต่อวงการภาพยนตร์อังกฤษมอบภาพยนตร์ชุดแฮร์รี่ พอตเตอร์ รับร่วมกับเดวิด เฮย์แมน นักแสดงและทีมงาน
ค.ศ. 2012: Freedom of the City of London
ผลงานตีพิมพ์
หนังสือเด็ก
นวนิยายชุด<i data-parsoid='{"dsr":[98647,98667,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์
แฮร์รี่ พอตเตอร์กับศิลาอาถรรพ์ (26 มิถุนายน ค.ศ. 1997)
แฮร์รี่ พอตเตอร์กับห้องแห่งความลับ (2 กรกฎาคม ค.ศ. 1998)
แฮร์รี่ พอตเตอร์กับนักโทษแห่งอัซคาบัน (8 กรกฎาคม ค.ศ. 1999)
แฮร์รี่ พอตเตอร์กับถ้วยอัคนี (8 กรกฎาคม ค.ศ. 2000)
แฮร์รี่ พอตเตอร์กับภาคีนกฟีนิกซ์ (21 มิถุนายน ค.ศ. 2003)
แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเจ้าชายเลือดผสม (16 กรกฎาคม ค.ศ. 2005)
แฮร์รี่ พอตเตอร์กับเครื่องรางยมทูต (21 กรกฎาคม ค.ศ. 2007)
ผลงานสืบเนื่อง
สัตว์มหัศจรรย์และถิ่นที่อยู่ (หนังสือเล่มเสริมจากชุด<i data-parsoid='{"dsr":[99216,99236,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์) (1 มีนาคม ค.ศ. 2001)
ควิดดิชในยุคต่างๆ (หนังสือเล่มเสริมจากชุด<i data-parsoid='{"dsr":[99306,99326,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์) (1 มีนาคม ค.ศ. 2001)
นิทานของบีเดิลยอดกวี (หนังสือเล่มเสริมจากชุด<i data-parsoid='{"dsr":[99399,99419,2,2]}'>แฮร์รี่ พอตเตอร์) (4 ธันวาคม ค.ศ. 2008)
Short Stories from Hogwarts of Power, Politics and Pesky Poltergeists (6 กันยายน ค.ศ. 2016)
Short Stories from Hogwarts of Heroism, Hardship and Dangerous Hobbies (6 กันยายน ค.ศ. 2016)
Hogwarts: An Incomplete and Unreliable Guide (6 กันยายน ค.ศ. 2016)
บทภาพยนตร์สัตว์มหัศจรรย์และถิ่นที่อยู่ (19 พฤศจิกายน ค.ศ. 2016)
เรื่องสั้น
พรีเควลแฮร์รี่ พอตเตอร์ (กรกฎาคม ค.ศ. 2008)
นวนิยายผู้ใหญ่
เก้าอี้ว่าง (27 กันยายน ค.ศ. 2012)
นวนิยายชุดนวนิยายชุดคอร์โมรัน สไตรก์
เสียงเพรียกจากคักคู (เขียนในชื่อ โรเบิร์ต กัลเบรธ) (18 เมษายน ค.ศ. 2013)
หนอนไหม (เขียนในชื่อ โรเบิร์ต กัลเบรธ) (19 มิถุนายน ค.ศ. 2014)
Career of Evil (เขียนในชื่อ โรเบิร์ต กัลเบรธ) (ปลายปี 2015)
อ้างอิง
แหล่งข้อมูลอื่น
Media related to เจ. เค. โรว์ลิง at Wikimedia Commons
: Rowling's article on Jessica Mitford for The Telegraph
of Rowling's speech at Harvard University's 2008 commencement.
on IMDb
in libraries (WorldCat catalog)
หมวดหมู่:นักเขียนชาวอังกฤษ
หมวดหมู่:แฮร์รี่ พอตเตอร์
หมวดหมู่:ผู้ได้รับเครื่องอิสริยาภรณ์เลฌียงดอเนอร์
หมวดหมู่:ผู้ได้รับเครื่องราชอิสริยาภรณ์โอบีอี
หมวดหมู่:ผู้ได้รับปริญญากิตติมศักดิ์
หมวดหมู่:บุคคลจากมหาวิทยาลัยเอ็กซิเตอร์
| https://th.wikipedia.org/wiki/%E0%B9%80%E0%B8%88.%20%E0%B9%80%E0%B8%84.%20%E0%B9%82%E0%B8%A3%E0%B8%A7%E0%B9%8C%E0%B8%A5%E0%B8%B4%E0%B8%87 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
793,
1768,
2077,
2686,
3110,
4094,
5259,
6135,
6708,
7621,
8668,
9557,
10655,
11903,
13273,
14392,
14880,
15486,
16523,
17848,
18785,
19422,
20190,
20870,
21738,
22364,
23321,
24091,
25138,
25724,
26385,
27263,
27974,
28802,
30486,
31450,
31596,
32553,
33554,
35232,
36033,
36986,
38231,
38904,
39437,
40021,
40813,
41035,
41953,
42596,
43365,
44730,
45667,
46773,
47839,
49921,
50321,
51544,
52734,
55288,
56015,
56260,
57523,
59877,
63246,
63937,
65191,
65981,
66553
],
"plaintext_end_byte": [
792,
1767,
2076,
2632,
3109,
4093,
5232,
6134,
6707,
7567,
8667,
9531,
10629,
11902,
13247,
14391,
14854,
15485,
16497,
17847,
18759,
19421,
20189,
20844,
21737,
22363,
23295,
24090,
25137,
25698,
26384,
27262,
27948,
28801,
30485,
31424,
31595,
32552,
33528,
35231,
36007,
36985,
38205,
38903,
39411,
40020,
40787,
41034,
41927,
42595,
43364,
44704,
45666,
46772,
47813,
49920,
50253,
51543,
52733,
55287,
56014,
56242,
57522,
59876,
63219,
63936,
65190,
65980,
66552,
67322
]
} | متى تأسس إتحاد كأس العالم لكرة القدم ؟ | كأس العالم | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
7
],
"minimal_answers_start_byte": [
5391
],
"minimal_answers_end_byte": [
5395
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
كأس العالم لكرة القدم هي أهم مسابقة لرياضة كرة القدم تقام تحت إشراف الاتحاد الدولي لكرة القدم. وتقام بطولة كأس العالم كل أربع سنوات منذ عام 1930، ما عدا بطولتي عام 1942 و1946 اللتين ألغيتا بسبب الحرب العالمية الثانية. يشارك في النظام الحالي للبطولة 32 منتخبا وطنيا، منذ 1998، مقسمين على ثماني مجموعات، يتنافسون للظفر بلقب البطولة لشهر كامل على ملاعب البلد المستضيف. تتأهل هذه المنتخبات إلى البطولة عن طريق نظام للتصفيات يقام على مدى ثلاث سنوات.
شهدت النسخ العشرين السابقة من بطولات كأس العالم فوز ثمانية منتخبات مختلفة باللقب. كما يسجل للمنتخب البرازيلي حضوره في كل البطولات، فهو لم يغب أبداً عن أي بطولة كأس عالم حتى الآن وهو الأكثر تتويجا بالكأس حيث فاز بها خمس مرات أعوام: 1958، و1962، و1970، و1994 و2002. يليه المنتخب الإيطالي الذي أحرزها أربع مرات في أعوام: 1934، و1938، و1982 و2006، مع المنتخب الألماني الذي أحرزها 4 مرات أيضاً أعوام: 1954، 1974، و1990، و2014. فاز كل من المنتخب الأرجنتيني والمنتخب الأوروغوياني والمنتخب الفرنسي باللقب مرتين، بينما فازت منتخبات إنجلترا وإسبانيا بلقب البطولة مرة واحدة.
استطاع منتخبان فقط إحراز لقب البطولة مرتين متتاليتين، حيث كان المنتخب الإيطالي أول منتخب يحرز البطولة مرتين متتاليتين في نسختي عام 1934 و1938، ثم البرازيل بطل أعوام: 1958، 1962.
بطولة كأس العالم من أكثر الأحداث الرياضية مشاهدة على مستوى العالم، ففي نهائي كأس العالم لكرة القدم 2006، الذي أقيم في ألمانيا، قدر عدد من تابع المباراة النهائية ب 715 مليون شخص.[1] حامل اللقب الحالي هو المنتخب الفرنسي الفائز بكأس العالم 2018 الذي أقيم في روسيا بعد فوزها في النهائي على المنتخب الكرواتي بنتيجة 4-2.
التاريخ
منافسات دولية سابقة
أقيمت أول مباراة كرة قدم دولية في 1872 بين منتخبي اسكتلندا وإنجلترا وانتهت بالتعادل السلبي.[2] وكانت أول بطولة دولية هي البطولة البريطانية التي جرت في عام 1884.[3] في هذه المرحلة كان نادرا ما تلعب هذه الرياضة خارج بريطانيا العظمى وأيرلندا.
بعد أن تأسس الاتحاد الدولي لكرة القدم (الفيفا) عام 1904،[4] كانت هنالك محاولة من قبل الاتحاد لتنظيم بطولة كرة قدم دولية بين الأمم، خارج الإطار الأولومبي في سويسرا عام 1906، وقد كانت هذه البداية الأولى لكرة القدم الدولية.[5] مع استمرار الحدث الأولومبي بمشاركة فرق الهواة، نظم السير توماس ليبتون بطولة "كأس السير توماس ليبتون" في تورين عام 1909، مسابقة للمحترفين. كانت بطولة ليبتون بين النوادي (وليس المنتخبات الوطنية) من مختلف البلدان، كل نادٍ منهم يمثل الدولة بكاملها. ويشار إليها أحياناً على أنها أول بطولة لكأس العالم لكرة القدم على مستوى الأندية.[6]
في عام 1914، وافق الاتحاد الدولي لكرة القدم على الاعتراف بالبطولة الأولومبية كـ "بطولة كرة قدم عالمية للهواة"، وتحمل مسؤولية إدارة الحدث.[7] هذا مهد الطريق لأول منافسة كرة قدم عابرة للقارات في العالم، وذلك في الألعاب الأولمبية الصيفية 1920.[8] بعد ذلك فاز منتخب الأورغواي لكرة القدم ببطولات كرة القدم الأولومبية في عامي 1924 و1928. في عام 1928 قرر الاتحاد الدولي لكرة القدم تنظيم بطولته الدولية الخاصة خارج نطاق الألعاب الأولمبية. مع كون الأوروغواي أبطال كرة القدم الرسميين آنذاك لمرتين،[9] وللاحتفال بالذكرى المئوية لاستقلال الأوروغواي في عام 1930، جعل اتحاد كرة القدم العالمي الأورغواي الدولة المستضيفة للنسخة الأولى من نسخ كأس العالم.[10]
إنشاء البطولة
ترجع فكرة إقامة كأس العالم إلى أول اجتماع للاتحاد الدولي لكرة القدم عام 1904 في باريس، وبحضور سبع دول هي: سويسرا، بلجيكا، الدانمارك، فرنسا، هولندا، إسبانيا، والسويد. حيث تبنى الاتحاد الدولي فكرة إقامة بطولة عالمية لكرة القدم، بعد أن استغرق القرار وقتا طويلا للاتفاق عليه بسبب عدة صعوبات.[11] كانت أبرز هذه الصعوبات هو رفض اللجنة الأولمبية الدولية لفكرة البطولة خوفاً من تأثيرها على الدورات الأولمبية العريقة، وكذلك خوفاً من سيطرة الاتحاد الدولي على اللعبة الأكثر شعبية في العالم.[12]
نهضت الفكرة مرة أخرى عام 1921 على يد المحامي الفرنسي جول ريميه، والذي أصبح لاحقا رئيساً للاتحاد الدولي والذي عمل جاهداً لإطلاق أول بطولة عالمية لكرة القدم، وبعد مرور سبعة أعوام على تعيينه في منصب الرئاسة وافق الاتحاد الدولي في اجتماع تاريخي عقد في 25 مايو 1928 على إقرار بطولة كأس العالم، وتسميتها ببطولة كأس النصر.[12][13]
تقدمت الأوروغواي بطلب تنظيم البطولة، وتمت الموافقة نظرا لأنها كانت رائدة المنتخبات في ذلك الوقت وبطلة آخر دورتين أولمبيتين، وقدمت تسهيلات للمنتخبات المشاركة، وتكفل الاتحاد الدولي بدفع مصاريف الفرق وتنقلاتها الصعبة في ذلك الوقت.[14] قبل عامين من انطلاق منافسات أول كأس عالم، اشترطت التعليمات وجوب وجود جائزة ثمينة تقدم للمنتخب الفائز بالبطولة العالمية، مما دفعهم إلى إنشاء كأس النصر (كأس جول ريميه).[15] وانطلقت البطولة لأول مرة عام 1930 ولا زالت مستمرة كل 4 سنوات حتى اليوم.[16]
تاريخ البطولات
كأس العالم 1930
تصغير|يسار|منتخب الأوروغواي، أول منتخب فاز بلقب كأس العالم.
في عام 1930، أُقيمت أول بطولة عالمية لكرة القدم تحت مُسمى (كأس العالم)، وهي كأس العالم 1930 والتي استضافتها الأوروغواي في الفترة من 13 - 30 يوليو. تُعتبر البطولة الأولى الوحيدة من ضمن جميع بطولاتها التي لم يكن بها تصفيات مؤهلة. دُعيت جميع المنتخبات المنتسبة للاتحاد الدولي لكرة القدم للمشاركة بالبطولة، ككل، شاركت 13 دولة في البطولة الأولى، ويرجع قلة المنتخبات المشاركة إلى اختيار الأوروغواي كمكان لاحتضان البطولة،[17] فالمدة الزمنية للرحلة وتكاليف السفر عبر المحيط الأطلسي تجعل المشاركة صعبة بالنسبة للمنتخبات الأوروبية.
حدثت أول مباراتين لكأس العالم مباشرة، وقد فاز فيها منتخب فرنسا ومنتخب الولايات المتحدة، الذين فازا على المكسيك 4 - 1، وبلجيكا 3 - 0، على التوالي. الهدف الأول في تاريخ كأس العالم أحرزه الفرنسي لوسيان لوران.[18] وفي المباراة النهائية، تغلب منتخب الأورغواي على الأرجنتين بنتيجة 4 - 2 أمام حشد كبير بلغ 93 ألف مشجع،[19] في مونتيفديو،[20] وأصبحت أوروجواي أول دولة تفوز بالكأس. ويعتبر الأرجنتيني فرانشيسكو فارايو هو آخر لاعب توفي من الذين خاضوا نهائي كأس العالم 1930، عندما توفي في 30 أغسطس 2010.[21]
كأس العالم 1934
في بطولة كأس العالم 1934 أُختيرت إيطاليا لاستضافة البطولة، بعدما رشحها الإتحاد الدولي لكرة القدم إثر انعقاد مؤتمر برلين في أكتوبر 1932.[22] ومن ثم تم اختيار إيطاليا لاستضافة البطولة في الاجتماع الذي أقيم في ستوكهولم عاصمة السويد في 9 أكتوبر 1932.[23][24] وتُعتبر أول دورة تُلعب بها تصفيات مؤهلة، بعدما قررت 32 دولة المشاركة في البطولة وبالتالي كان لزاما إقامة تصفيات لتتأهل بعدها 16 دولة.[24] أقيم نهائي كأس العالم 1934 والذي أقيم على ملعب الحزب الوطني الفاشي تقدمت تشيكوسلوفاكيا بالنتيجة، لكن منتخب إيطاليا استطاع تسجيل هدف التعادل في الدقائق الأخيرة ثم أضاف الهدف الثاني في الوقت الإضافي ليتوج باللقب.[25]
كأس العالم 1938
في بطولة كأس العالم لكرة القدم 1938 أُختيرت فرنسا لاستضافة البطولة التي جرت أحداثها من الـ 4 من يونيو إلى الـ 19 من يونيو من عام 1938، وسبب هذا القرار الصادر من الاتحاد الدولي لكرة القدم باستضافة النسخة الثالثة من البطولة، غضباً في القارة اللاتينية، حيث أُعتقد بأن الاستضافة تقوم على التناوب بين القارتين.[26] ونتيجة لهذا القرار، لم تشارك الأورغواي، والأرجنتين في منافسات البطولة. في الوقت نفسه، لم يشارك منتخب إسبانيا في النهائيات، بسبب استمرار اشتعال نيران الحرب الأهلية فيها. وكانت هذه البطولة هي المرة الأولى التي يتأهل بها المستضيف وحامل اللقب بشكل تلقائي. فمنذ عام 1938 كان حامل اللقب يتأهل بصورة مباشرة إلى النهائيات التالية، إلى أن تم إلغاء ذاك النظام مع بطولة كأس العالم لكرة القدم 2006.
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1938 على الاستاد الأولمبي في باريس، حيث شهد اللقاء أهداف كثرة، فانتهى اللقاء بفوز منتخب إيطاليا لكرة القدم بنتيجة 4-2 على منتخب المجر لكرة القدم، وتصبح بذلك إيطاليا أول فريق يحافظ على لقبه في نهائيات كأس العالم، وأول منتخب يحقق كأس العالم لمرتين متتاليتين.[27] ثم توقفت البطولة بسبب الحرب العالمية الثانية لمدة 12 عاماً، وعادت إليها الروح في عام 1950. وبهذا، كانت إيطاليا حاملة للقب العالمي لمدة 16 عام (من 1934 إلى 1950)، وهي أطول مدة لمنتخب حمل لقب بطل العالم. خلال هذه الفترة قام نائب رئيس الاتحاد الدولي لكرة القدم ورئيس الاتحاد الإيطالي لكرة القدم الدكتور أوتورينو باراسي بإخفاء الكأس العالمية في صندوق حذاء، ووضعها تحت سريره طيلة فترة الحرب العالمية الثانية، وبتلك الصورة حماها من الوقوع تحت أيدي قوات الاحتلال.[28]
كأس العالم 1950
تعتبر بطولة كأس العالم لكرة القدم 1950 هي الأولى منذ عام 1938، بعد توقف دام 12عاماً بسبب ظروف الحرب العالمية الثانية فكانت آخر بطولة هي التي أقيمت عام 1938 في فرنسا. وبعد انتهاء الحرب قرر الاتحاد الدولي لكرة القدم تعويض بطولتي 1942 و1946 وقامت بالبحث عن دولة لاستضافة تلك البطولة ولكنها فشلت في الوصول لأي دولة أوروبية تستضيف الحدث بعد تلك الحرب حيث خشى الاتحاد الدولي من عدم الحصول على موارد كافية لتنفيذ تلك البطولة، حتى أن تقدمت البرازيل بطلب استضافة كأس العالم لكرة القدم على أرضها بشرط أن تقام عام 1950 (كان مقرراً أن تقام عام 1949)،[29] وكان عرض البرازيل مشابهاً بشكل كبير لعرضها لاستضافة البطولة عام 1942 بالإضافة إلى ألمانيا.[30]
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1950 على ملعب ماراكانا،[31] وبحضور 200 ألف متفرج،[32][33] كان ولا زال رقماً قياسياً كأكثر النهائيات حضوراً.[34] واستطاع منتخب الأوروغواي التغلب على صاحب الأرض والجمهور منتخب البرازيل، ويفوز باللقب الثاني له في بطولات كأس العالم.[35]
كأس العالم 1954
أقيمت كأس العالم لكرة القدم 1954 في سويسرا، وكان الإعلان عن البلد المستضيف تم في نفس اليوم الذي أعلن فيه عن اختيار البرازيل لاستضافة كأس العالم لكرة القدم 1950، حيث كانت سويسرا هي الدولة الوحيدة التي أعلنت عن استعدادها لاحتضان البطولة. شهدت البطولة أعلى معدل تسجيل للأهداف في تاريخ نهائيات كأس العالم عندما بلغ المعدل 5.38 هدف لكل مباراة.
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1954 على ملعب وانكدورف بمدينة بيرن السويسرية،[36] حضر النهائي ما يقارب 64 ألف متفرج. جمعت المباراة النهائية منتخبين ألمانيا الغربية وهنغاريا،[37] في لقاء توقع فيه الجميع أن الفوز سيكون من نصيب المنتخب الهنغاري نظراً لمستواه الممتاز حينها، لكن منتخب ألمانيا الغربية حقق المفاجأة، وفاز بينتيجة 3-2،[38] محققاً اللقب الأول له في بطولات كأس العالم.[39] وعقب فوز ألمانيا الغربية باللقب، أطلق الألمان عبر إحدى وسائل الإعلام على تلك المباراة لقب المعجزة في بيرن بالإشارة إلى العاصمة السويسرية بيرن التي فاز بها المنتخب الألماني الغربي.[40]
كأس العالم 1958
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 1958 في السويد، وتعتبر هذه هي المرة الوحيدة التي يقام فيها كأس العالم على أراضي أوروبية ويفوز بها منتخب من خارج القارة العجوز. وتم الإعلان عن استضافة السويد لمنافسات البطولة في 23 يونيو من عام 1950،[41] بمدينة ريو دي جانيرو البرازيلية في بداية بطولة كأس العالم لكرة القدم 1950.[42] حظيت البطولة للمرة الأولى في بطولات كأس العالم بتغطية تلفزيونية عالمية، على الرغم من ذلك لم تتمكن دول شرق أوروبا من متابعتها بسبب عدم جاهزيتها لاستقبال البث المباشر.[43] الفريد في تلك النسخة أن منتخبات ويلز وأيرلندا الشمالية وإنجلترا واسكتلندا قد شاركت بالبطولة، وهي المرة الأولى والوحيدة التي تشهد مشاركة جميع ممثلي الكرة البريطانية. أيضاً،[44] تأثر إنجلترا بفقدان بعض لاعبيه في كارثة ميونخ الجوية في فبراير من ذلك العام.[45]
احتضن ملعب راسوندا الوقع في بلدية سولنا السويدية،[46] والذي يسع الملعب لجلوس 35 ألف متفرج،[47] نهائي كأس العالم لكرة القدم 1958 والذي أقيم في 29 يونيو 1958،[48] بين صاحب الضيافة منتخب السويد بقيادة نيلس ليدهولم وغونار غرين ومنتخب البرازيل بقيادة فافا مع غارينشيا وماريو زاغالو وبيليه. واستطاع منتخب البرازيل قلب تأخره بهدف نظيف إلى فوز عريض قوامه 5-2، في لقاء شهد بداية اللاعب العالمي الملقب بالجوهرة السوداء بيليه في عمر لا يتجاوز السابعة عشرة، لتحصل البرازيل على اللقب العالمي الأول لها في بطولات كأس العالم.[49]
كأس العالم 1962
أقيم كأس العالم لكرة القدم 1962 في تشيلي بعدما أجبر الاتحاد الدولي لكرة القدم على اختيار دولة لاتينية، بسبب إقامة البطلتين السابقتين أعوام 1954 و1958 في دول أوروبية، خوفاً من مقاطعة منتخبات أمريكا الجنوبية مثلما حدث في كأس العالم لكرة القدم 1938.[50] فاستطاعت تشيلي التغلب على الأرجنتين والفوز باستضافة البطولة، بعدما كانت الأرجنتين مرشحة وبقوة لاستضافة.[51]
معركة سانتياغو هي مباراة لكرة القدم بين المضيف تشيلي وإيطاليا في 2 يونيو 1962 في العاصمة التشيلية سانتياغو.[52] وتعتبر من أكثر المباريات عنفاً في تاريخ كأس العالم لكرة القدم.[53] فشهدت طرد لاعبين من المنتخب الإيطالي، مع تغاضي الحكم آنذاك الإنجليزي عن طرد لاعبين من منتخب تشيلي، الأمر الذي أدى إلى فوضى عارمة بين الفريقين وصلت إلى الشجار والبصق، مما دفع الشرطة للتدخل أكثر من ثلاث مرات.[54] وانتهى بفوز المنتخب التشيلي بنتيجة 2-0.[55]
استطاع المنتخب البرازيلي التأهل للمباراة النهائية على الرغم من إصابة بيليه، فتقمص غارينشيا دور زميله وقاد البرازيل للمباراة النهائية.[56] أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1962 على ملعب تشيلي الوطني في العاصمة سانتياغو بين منتخب البرازيل ومنتخب التشيكوسلوفاكيا،[57] واستطاع منتخب البرازيل الفوز باللقب للمرة الثانية في تاريخه بعدما فاز بثلاثة أهداف مقابل هدف.[58]
كأس العالم 1966
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 1966 في إنجلترا، والتي استطاعت خطف شرف تنظيم منافسة كأس العالم لكرة القدم، فتم إعلان إنجلترا كمستضيف في 22 أغسطس من عام 1960 في العاصمة الإيطالية روما. شهدت هذه البطولة مقاطعة جميع منتخبات قارة أفريقيا وآسيا للتصفيات المؤهلة (فيما عدا منتخب كوريا الشمالية) بسبب ما رأوه ظلماً من الاتحاد الدولي لكرة القدم في توزيع المقاعد حيث خصصت مقعدا واحدا فقط لأفريقيا وآسيا مجتمعتين (أي نصف مقعد لكل منهما)، بينما أعطت أوروبا 9 مقاعد وأمريكا الجنوبية 4 مقاعد.[59]
شهدت بطولة كأس العالم 1966، الإعلان عن أول تميمة لكأس العالم،[60] والتي أطلق عليه الأسد ويلي.[61] أيضاً وقبل البطولة بأشهر، وتحديداً في 20 مارس 1966، سرق كأس جول ريميه من قبل لص خلال المعرض العام في قاعة منستير المركزية،[62] ثم تم العثور عليه بعد أسبوع من سرقته ملفوفا في صحيفة،[63] أسفل سياج حديقة في أحد ضواحي نوروود جنوب لندن، وعثر عليه كلب مسمى ببيكلز.[64]
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1966، على ملعب ويمبلي في العاصمة الإنجليزية لندن، وبحضور 96,924 متفرج،[65] في أكبر محفل رياضي في تاريخ بريطانيا، في لقاء جمع بين المنتخبين الإنجليزي والألماني الغربي بتاريخ 30 يوليو عام 1966.[66] واستطاع المنتخب الإنجليزي الفوز على منتخب ألمانيا الغربية بنتيجة 4-2 في الوقت الإضافي، بعد انتهاء الوقت الأصلي بالتعادل 2-2.[67] حيث سجل جيوف هورست هدف الفوز في الأشواط الإضافية، يذكر أن التقنية الحديثة استخدمت لتأكيد صحة الهدف،[68] لكن التحليل أظهر عدم صحة الهدف، حيث لم تتجاوز الكرة كامل محيطها.[69]
كأس العالم 1970
تصغير|يسار|منتخب البرازيل الفائز بلقب كأس العالم لكرة القدم 1970.
استضافت المكسيك بطولة كأس العالم لكرة القدم 1970 في نسختها التاسعة من منافسات كأس العالم لكرة القدم في الفترة ما بين 31 مايو إلى 30 يونيو،[70] وفازت المكسيك بشرف استضافة البطولة بعدما تغلبت على الأرجنتين في التصويت الذي أقيم في العاصمة اليابانية طوكيو.[71] وتصبح بذلك أول بطولة تقام خارج قارتي أوروبا وأمريكا الجنوبية،[72] والأولى التي تقام في قارة أمريكا الشمالية.[71]
شهدت البطولة تغييرات في بطاقات التأهل نتجت عنها مشاركة 16 منتخباً من كل القارات، طال التغيير ليشمل بعض القواعد و القوانين. حيث تم أيضاً السماح بإجراء تبديلين لكل منتخب للمرة الأولى في تاريخ البطولة،[73] كما منح الحكام حق رفع البطاقتين الصفراء والحمراء.[74] بعد أن كانت من قبل شفهيًا، ولم يتم استخدام البطاقة الحمراء في تلك البطولة.[75] ومع التقدم في مجال الاتصالات الفضائية، جذبت كأس العالم 1970 رقم قياسي جديد لجمهور المتابع لمنافسات البطولة.[76][77][78] فكانت المرة الأولى التي يشاهد فيها الجمهور المباريات على الهواء مباشرة،[79] وعبر الشاشات الملونة عن طريق البث التلفزيوني الملون.[80][81]
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1970 على ملعب أزتيكا، أمام 107,412 متفرج، والتي جمعت منتخب البرازيل ومنتخب إيطاليا.[82] واستطاعت البرازيل الفوز باللقب بتغلبها على المنتخب الإيطالي بنتيجة 4-1.[83][84] وبهذا الفوز أصبحت البرازيل أول بلد يفوز بالكأس لثلاث مرات ويمتلك كأس جول ريميه،[85] بعدما حصل على البطولتين عامي 1958 و1962.
كأس العالم 1974
كأس العالم لكرة القدم 1974 هي البطولة العاشرة في تاريخ كأس العالم لكرة القدم، واستضافتها ألمانيا الغربية في الفترة ما بين 13 يونيو إلى 7 يوليو،[86] حيث فازت بشرف استضافة البطولة، بعد أن عقدت ألمانيا الغربية اتفاقاً مع إسبانيا، بأن تساندها في استضافة منافسات كأس العالم لكرة القدم 1974، في المقابل، تقوم ألمانيا بدعم إسبانيا لاستضافة منافسات كأس العالم لكرة القدم 1982.[87]
شهدت البطولة تقديم كأس جديدة للبطولة، بعد امتلاك منتخب البرازيل لكرة القدم لكأس جول ريميه في عام 1970، فاختار الاتحاد الدولي لكرة القدم الفنان الإيطالي سيلفيو غازانيغا لشرف صناعة الكأس الجديدة، والذي أطلق عليه كأس الفيفا. دخل لاعب منتخب التشيلي كارلوس كازالي التاريخ عندما أصبح أول لاعب يُطرَد بالبطاقة الحمراء في مباراة منتخب بلاده مع منتخب ألمانيا الغربية، على الرغم من إقرار البطاقات الحمراء في كأس العالم 1970، إلا أنها لم يكن هناك حاجة لاستخدامها في تلك النسخة.[88] في تلك البطولة.
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1974 على الملعب الأولمبي بمدينة ميونخ عاصمة ألمانيا الغربية، أمام ما يقارب 75,200 ألف متفرج.[89] بين فريقين يتميزان بطريقة لعب فريدة عرفت باسم الكرة الشاملة.[90] واستطاع منتخب ألمانيا الغربية التغلب على منافسه المنتخب الهولندي بنتيجة 2-1. وانتهى اللقاء بفوز منتخب ألمانيا الغربية بلقب كأس العالم للمرة الثانية في تاريخهم بعد كأس العالم لكرة القدم 1954.[91]
كأس العالم 1982
تصغير|يسار|المنتخب الإيطالي الفائز بلقب كأس العالم لكرة القدم 1982.
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 1982 في الفترة من 13 يونيو وحتى 11 يوليو، فتم اختيار إسبانيا لاحتضان البطولة بعد انسحاب ألمانيا التي استضافت منافسات بطولة كأس العالم لكرة القدم 1974.[92] شهدت البطولة مشاركة أول فريق عربي آسيوي وهو منتخب الكويت وشهد مشاركة منتخب الجزائر لأول مرة في تاريخها،[93] وعادت إنجلترا لبطولات العالم بعد غياب دام 12 عاماً وتحديداً من البطولة التي حققوها في كأس العالم 1966.[94]
تميزت هذه البطولة بالعديد من المباريات المثيرة والممتعة، واعتبرت البطولة من أكثر البطولات إثارة بعد كأس العالم 1970، وكانت هذه هي البطولة الأولى التي تضم 24 فريقاً بدلاً من 16 فريقاً في البطولات الماضية، بعدما أقر الاتحاد الدولي لكرة القدم زيادة المنتخبات المشاركة قبل كأس العالم 1978.[95] شهد دور المجموعات مفاجئات عديدة، كان أولها فوز المنتخب الجزائري على منتخب ألمانيا الغربية بنتيجة 2-1[96] بتوقيع كل من رابح ماجر ولخضر بلومي،[97] وكانت الجزائر قريبة من التأهل للدور المقبل خاصة بعد فوزها على التشيلي بنتيجة 3-2،[98] في المقابل وفي لقاء آخر من نفس المجموعة بين منتخبي ألمانيا الغربية والنمسا،[99] عندما الألمان هدف التقدم وظل الفريقين يتناقلون الكرة،[100] واتفقوا على انهاء نتيجة المباراة على ما هي عليه ليتأهل كل من المنتخين إلى الدور الثاني من البطولة على حساب الجزائر،[101] في مباراة عرفت باسم فضيحة خيخون[102] . أجبرت تلك الأحداث الاتحاد الدولي لكرة القدم على إقامة آخر مباريات كل مجموعة في نفس التوقيت منعاً لتكرار التلاعب في النتائج.[103]
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1982 على ملعب سانتياغو بيرنابيو بالعاصمة الإسبانية مدريد بتاريخ 11 يوليو 1982 وبحضور 90.000 ألف متفرج، بين المنتخب الإيطالي والمنتخب الألماني.
واستطاع المنتخب الإيطالي الفوز بالمباراة بنتيجة 3-1.[104] فبعد انتهاء الشوط الأول بالتعادل السلبي، سجلت إيطاليا 3 أهداف متتالية خلال 24 دقيقة، عبر كل من باولو روسي وماركو تارديلي وأليساندرو ألتوبيلي.[105] ثم قلصت ألمانيا الفارق في وقت مؤخر من اللقاء عن طريق بول برايتنر. وتفوز إيطاليا باللقب الأول لها منذ 5 عقود، والثالث في تاريخها بعد عامي 1934[106] و1938.[107]
كأس العالم 1986
يسار|تصغير|200بك| خورخي بوروشاجا صاحب هدف الفوز في نهائي كأس العالم لكرة القدم 1986.
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 1986 في المكسيك في الفترة من 31 مايو وحتى 29 يونيو. في عام 1976 تم اختيار كولومبيا لاستضافة كأس العالم، السلطات الكولومبية أعلنت في نهاية المطاف في نوفمبر عام 1982 عن عدم استطاعتهم تحمل نفقات أستضافة كأس العالم بسبب المخاوف الاقتصادية.[108] ليتم اختيار المكسيك يوم 20 مايو 1983 لاستضافة الكأس، بعدما لاقى ملفها استحساناً كبيراً وتغلب على ملف كل من كندا والولايات المتحدة،[109] ظهرت في هذه البطولة طريقة تشجيع جديدة بالمدرجات عرفت باسم "الأمواج المكسيكية" والتي أصبحت طريقة شهيرة في العالم أجمع بعد ذلك.[110][111]
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1986 في العاصمة مكسيكو سيتي بتاريخ 29 يونيو 1986، وذلك على ملعب أزتيكا وحضر في الملعب 114.600 الف متفرج،[112] بين المنتخب الألماني الغربي والمنتخب الأرجنتيني.[113] تقدمت الأرجنتين أولاً بهدفين من توقيع خوسي لويس براون وخورخي فالدانو،[114] لكن الألمان تقدموا عليهم بهدفين من خلال رودي فولر وكارل-هاينتس رومنيغه.[115] وبينما كانت المباراة تلفظ أنفاسها متجهة إلى الوقت الإضافي باغت خورخي بوروشاجا المنتخب الألماني بتسجيله الهدف الثالث لمنتخب بلاده. وتفوز الأرجنتين بلقب كأس العالم لكرة القدم للمرة الثانية في تاريخها.[116]
كأس العالم 1990
بطولة كأس العالم لكرة القدم 1990 أقيمت في إيطاليا في الفترة ما بين 8 يونيو وحتى 8 يوليو. تم اختيار إيطاليا لاستضافة المنافسات من بين 6 منتخبات أخرى هي الاتحاد السوفيتي وإنجلترا واليونان وألمانيا الغربية والنمسا ويوغسلافيا.[117] اعتبر الجميع بطولة كأس العالم لكرة القدم 1990 من أكثر البطولات مللاً فقد انخفض معدل إحراز الأهداف بشكل ملحوظ، حيث بلغ 2.21 وهو الأقل منذ بداية بطولة كأس العالم لكرة القدم.[118] ولوحظ كثرة استخدام البطاقات الحمراء، حيث تم استخدامها 16 مرة،[119] فشهدت البطولة مباريات مملة وكثرة إضاعة الوقت، وهو ما ترتب عليه قيام الاتحاد الدولي لكرة القدم بتغير قوانين البطولة قبل مباراة النهائي لتجنب ذلك، بنصه على إجراء مباراة إعادة للنهائي في حالة انتهائه بالتعادل.[120] أيضاً قام الاتحاد الدولي لكرة القدم بمنح الفائز 3 نقاط عضواً عن نقطتين، كما تم تغير قانون إعادة الكرة إلى حارس المرمى وذلك بمنع قيام الحارس بالإمساك بالكرة في حال تم إرجاعها من زميله في الفريق، وتم تطبيق تلك التغييرات بدءًا من كأس العالم لكرة القدم 1994.[121]
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1990 في العاصمة الإيطالية روما وسط حضور ما يقارب من 74 ألف متفرج، بتاريخ 8 يوليو 1990،[122] بين منتخب ألمانيا الغربية ومنتخب الأرجنتين، في تكرار لنهائي كأس العالم لكرة القدم 1986.[123] وانتهى اللقاء بهدف نظيف لمنتخب منتخب ألمانيا الغربية من ركلة جزاء مشكوك بصحتها أحرزها اللاعب أندرياس بريمه في الدقيقة 85،[124] ليحرز الماكينات لقبهم الثالث وينتقم لخسارته بنهائي كأس العالم لكرة القدم 1986 من منتخب الأرجنتين.
كأس العالم 1994
أقيمت كأس العالم لكرة القدم 1994 في الولايات المتحدة الأمريكية، فتم الإعلان عن البلد المستضيف في 4 يوليو 1988 بمدينة زيورخ السويسرية،[125] شهدت البطولة مشاركة 24 منتخباً للمرة الأخيرة قبل أن يتم تغييره ليصبح 32 منتخباً بداية من كأس العالم لكرة القدم 1998،[126] ومع هذا تم تسجيل رقم قياسي في عدد الجماهير التي حضرت المنافسات والتي بلغت 3.6 مليون متفرج.[126] علاوة على ذلك، تم تسجيل رقم قياسي جديد في معدل الحضور للمباراة الواحدة والذي بلغ ما يقارب 69 ألفاً لكل لقاء،[126] محطماً بذلك الرقم السابق والذي بلغ 51 ألفاً في كأس العالم لكرة القدم 1966.[127]
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1994 بتاريخ 17 يوليو 1994، على ملعب ملعب روس بول في باسادينا بولاية كاليفورنيا والذي شهد حضور أكثر من 94.194 متفرج،[128][129] وجمعت بين المنتخبين الكبيرين، المنتخب البرازيلي والمنتخب الإيطالي،[130] في لقاء مكرر لنهائي كأس العالم لكرة القدم 1970 الشهير. شهد لقاء تحديد أكثر المنتخبات فوزاً بلقب كأس العالم آنذاك، حيث أن كلا الفريقين يمتلك في جعبته 3 ألقاب.[131] استطاع منتخب البرازيل الفوز باللقب بعدما تغلب على منتخب إيطاليا بالركلات الترجيحية بنتيجة 3 - 2، بعدما انتهى وقت المباراة الأصلي بالتعادل السلبي، وكذلك الوقت الإضافي. حيث انتهت المباراة بعد إضاعة روبيرتو باجيو ركلة ترجيح. وبهذا أصبحت البرازيل أكثر المنتخبات فوزاً بلقب كأس العالم لواقع 4 مرات.[132]
كأس العالم 1998
كأس العالم لكرة القدم 1998 أقيمت في فرنسا في الفترة من 10 يونيو إلى 12 يوليو 1998، واختيرت فرنسا لتنظيم البطولة في 2 يوليو 1992 في مدينة زيورخ السويسرية،[133] وتعتبر هذه البطولة هي الأولى التي تشهد مشاركة اثنين وثلاثين فريقاً بدلاً من أربعة وعشرين في البطولة التي سبقتها عام 1994 بالولايات المتحدة الأمريكية.[134] سجل في البطولة 171 هدفاً، وهو أكبر عدد إجمالي للأهداف سجل في بطولة واحدة.
أقيم نهائي كأس العالم لكرة القدم 1998 على ملعب فرنسا والذي شهد حضور 75 ألف متفرج،[135] بين فاز بالكأس البلد المنظم المنتخب الفرنسي والمنتخب البرازيلي.[136] واستطاعت فرنسا الفوز بنتيجة عريضة قوامها 3-0، محققة بذلك أول بطولة كأس عالم في تاريخها، بعد مستوى مميز من اللاعب زين الدين زيدان.[137]
كأس العالم 2002
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 2002 في نسختها السابعة عشر بتنظيم مشترك لكل من كوريا الجنوبية واليابان. وتعتبر هذه البطولة هي المرة الأولى (ولغاية الآن الأخيرة) التي يشترك بلدان في استضافتها،[138] كما أنها المرة الأولى التي تقام في قارة آسيا.[139] وهي البطولة الأخيرة التي يتأهل فيها حامل اللقب للنهائيات دون خوض التصفيات.[140]
لعب نهائي كأس العالم لكرة القدم 2002 بين ألمانيا والبرازيل على ملعب يوكوهاما الدولي في يوكوهاما، اليابان،[141] فكانت هذه المباراة أول مواجهة بين الفريقين في تاريخ بطولات كأس العالم، واستطاع منتخب البرازيل الفوز بنتيجة 2-0 لتفوز باللقب الخامس، بهدفين سجلهما رونالدو.[142] شهدت المباراة الظهور الثالث على التوالي لكابتن المنتخب البرازيلي آنذاك كافو في نهائي كأس عالم، وهو إنجاز لم يسبق لأحد تحقيقه في تاريخ بطولات كأس العالم.[143]
كأس العالم 2006
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 2006 في 9 يونيو 2006 في ألمانيا[144] بعد فوزها في التصويت الذي أجري في يوليو 2000 بزيورخ، سويسرا.
في 9 يوليو 2006 وبعد نهائي مثير في أحداثه ونتيجته، توج منتخب إيطاليا بطلا لمونديال 2006 للمرة الرابعة في تاريخها[145] الكروي بعد تغلبه على نظيره الفرنسي بركلات الترجيح 5 - 3 إثر انتهاء الوقتين الأصلي والإضافي بالتعادل 1 - 1 على ملعب برلين الأولمبي، والذي شهد نهاية مؤسفة للنجم زين الدين زيدان حيث دفع برأسه في صدر المدافع الإيطالي ماركو ماتيراتسي في الوقت الاضافي، وتحديداً في الدقيقة 110 من عمر المباراة،[146] ليخرج الحكم البطاقة الحمراء في وجه زيدان[147] أمام صدمة وذهول الجميع في ملعب برلين الأولمبي.[148]
كأس العالم 2010
كانت بطولة كأس العالم لكرة القدم 2010 هي أول بطولة تقام في القارة الإفريقية، وتحديداً في جنوب أفريقيا، حيث وقع الاختيار عليها بعد منافسة مع مصر والمغرب كي يصبح أحدهم أول بلد أفريقي يستضيف النهائيات. فكان اختيار قارة أفريقيا لتكون مستضيفة كأس العالم 2010، جزءاً من سياسة المدوارة قصيرة الأجل، والتي ألغيت في عام 2007،[149] وهي بمداورة استضافة الحدث بين القارات.
لعبت المباراة النهائية على ستاد البنك الوطني الأول، بقيادة الحكم الإنجليزي هاوارد ويب، وجمع النهائي بين هولندا وإسبانيا،[150] وهذه المرة الأولى في التاريخ التي تصل بها إسبانيا للمباراة النهائية لكأس العالم، كما أن هولندا لم تبلغ المباراة النهائية منذ 32 سنة وتحديداً منذ أن لعبت في نهائي كأس العالم لكرة القدم 1978. وكان نهائياً أوروبياً خالصاً للمرة الثانية على التوالي بعد نهائي كأس العالم لكرة القدم 2006 بين إيطاليا وفرنسا.
حُظي النهائي بأكبر عدد من البطاقات في نهائيات كأس عالم، وكان عدد البطاقات المكتسبة أكثر من ضعف الرقم القياسي السابق، وهو 6 بطاقات في نهائي كأس العالم 1986 بين الأرجنتين وألمانيا[151]. عدد البطاقات المكتسبة في المباراة 14 بطاقة صفراء منها 9 لمنتخب هولندا، و5 من نصيب منتخب إسبانيا [151]، وقد طُرد جون هيتينغا بعد تلقيه بطاقتين صفراتين. وكات البطاقة صفراء الموجهة لنايجل دي يونغ بعد ركله تشابي ألونسو في صدره في الشوط الأول، قد أثارت غضب الكثير، منهم روب هيوز والذي اعتقد بأنه كان يجب إعطاءه بطاقة حمراء.[152] تغلبت إسبانيا، بطلة أوروبا على هولندا 1–0 بعد الوقت الإضافي، بهدف سجله اللاعب أندريس إنيستا في الدقيقة 116.[153] وبذلك تمكنت إسبانيا من تحقيق لقبها العالمي الأول، وقد كانت هذه المرة الأولى التي تفوز دولة أوروبية بالمسابقة خارج القارة العجوز.[154]
كأس العالم 2014
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 2014 وهي النسخة العشرين من بطولات كأس العالم، في البرازيل بعد أن أتاح الاتحاد الدولي لكرة القدم نظام تبادل استضافة البطولة بين القارات، والذي تم إلغاؤه في 2007، وهي البطولة الأولى التي تقام في قارة أمريكا الجنوبية منذ أن استضافت الأرجنتين النسخة الحادية عشر للبطولة عام 1978. وهي أيضاً أول مرة تنظم كأسين عالميتين متتاليتين خارج القارة الأوروبية بعد كأس العالم 2010 في جنوب أفريقيا.[155] وفازت البرازيل بحق استضافة هذا الحدث يوم 30 أكتوبر 2007 بوصفها البلد الوحيد الباقي للدخول في المزايدة.[156]
سمح الاتحاد الدولي لكرة القدم باستخدام تقنية خط المرمى للمرة الأولى في تاريخ بطولات كأس العالم[157]، لتصبح هذه البطولة ثالث بطولة برعاية الاتحاد الدولي لكرة القدم يتم فيها تطبيق هذه الخاصية بعد بطولتي كأس العالم للأندية 2012 وكأس القارات 2013.[158][159] أيضاً، وافق الاتحاد الدولي لكرة القدم على استخدام الرذاذ المتلاشي من قبل الحكام للمرة الأولى في نهائيات كأس العالم.[160][161] والذي يهدف لمساعدة الحكام في تحديد مكان وقوف حائط الدفاع قبل تسديد الركلات الحرة، حيث يقوم الحكم بتحديد ومن ثم رسم خط على طول المكان الذي يبعد عن مكان تسديد الكرة، أي المكان الذي يسمح عنده بتواجد أقرب مدافع، ويختفي الخط خلال دقيقة بعد ذلك.[162]
جرى نهائي كأس العالم لكرة القدم 2014 بين منتخب ألمانيا ومنتخب الأرجنتين على ملعب ماراكانا الشهير وبحضور 75 ألف متفرج، في تكرار لنهائيي كأس العالم 1986 وكأس العالم 1990. استطاع منتخب ألمانيا التغلب على منتخب الأرجنتين بنتيجة بهدف نظيف سجله ماريو غوتزه في الدقيقة 113 من الشوط الإضافي الثاني،[163] ويصبح بذلك أول بديل يسجل في نهائي كأس العالم،[164] مانحاً منتخب بلاده رابع لقب عالمي، ليعادل رقم المنتخب الإيطالي.[165] أيضاً في تلك البطولة استطاع الألماني ميروسلاف كلوزه من كسر رقم البرازيلي رونالدو بعدما سجل هدف رقم 16 في نهائيات كأس العالم، ويصبح بذلك أكثر من سجل في تاريخ المسابقة.[166][167]
كأس العالم 2018
أقيمت بطولة كأس العالم لكرة القدم 2018 وهي النسخة الحادية والعشرين من بطولات كأس العالم في روسيا[168] حيث استطاعت روسيا الفوز بشرف استضافة البطولة بعد قرار الاتحاد الدولي لكرة القدم المُعْلن عنه في 2 ديسمبر 2010.[169] حيث استطاعت روسيا التغلب على 3 ترشيحات بالمجمل. وتصبح بذلك النسخة الأولى من بطولات كأس العالم التي أقيمت في أوروبا الشرقية.[170][171] شارك في البطولة 32 منتخباً وطنياً، بعدما تم الإبقاء على الشكل الحالي للبطولة.[172][173][174] وقد شهدت البطولة مشاركة منتخب آيسلندا ومنتخب بنما لأول مرة في تاريخهما. وقد قرر الاتحاد الدولي لكرة القدم إقامة نهائي كأس العالم 2018 على ملعب لوجنيكي والذي يتسع لحضور 81,000 ألف متفرج بعد التجديد.[175][176][177] شهد كأس العالم حدثاً تاريخياً جديداً، حيث تم استخدام تقنية الفار لأول مرة في تاريخ البطولة.[178] أول حالة تحكيمية يلجأ فيها الحكم لاستخدام التقنية كانت من في مباراة فرنسا وأستراليا،[179] حيث تأكد الحكم من وجود مخالفة من اللاعب الإسترالي جوش ريزدون ضد المهاجم الفرنسي أنطوان غريزمان.[180] بينما أول هدف يتم إلغائه باستخدام تقنية الفار كان في مباراة إيران ضد إسبانيا، حيث سجل الإيراني سعيد عزت اللهي هدفاً في الدقيقة 60، لكن بعد الرجوع لتقنية الفيديو، تم إلغاء الهدف بداعي التسلل الذي كان على اللاعب الإيراني رامين رضائيان.[181][182]
استطاع منتخب فرنسا الفوز باللقب للمرة الثانية في تاريخه بعدما تغلب على منتخب كرواتيا بنتيجة 4-2،[183] في المباراة النهائية التي أقيمت على ملعب ملعب لوجنيكي وبحضور 78,011 ألف متفرج.[184][185][186]
نظام البطولة
عدد المنتخبات المشاركة
لقد كانت البطولات الأولى من كأس العالم لكرة القدم الأكثر صعوبة بسبب الحرب ومشكلات النقل بين القارات، والقليل من منتخبات أمريكا الجنوبية استطاعت أن تسافر إلى أوروبا في 1934 و1938، حيث كان منتخب البرازيل لكرة القدم هو الوحيد من أمريكا الجنوبية الذي لعب في البطولتين، وألغيت بطولتي 1942 و1946 بسبب الحرب العالمية الثانية.[187] وقد كانت بطولة كأس العالم 1950 الأولى التي تشارك فيها الدول البريطانية، حيث أن الفرق البريطانية انسحبت من الاتحاد الدولي لكرة القدم في عام 1920 لأنهم رفضوا اللعب مع الدول التي حاربتهم في الحرب العالمية الأولى،[188] وشهدت البطولة عودة منتخب الأوروغواي لكرة القدم بطل كأس العالم لكرة القدم 1930، وقد فازت باللقب مرة أخرى.
350بك|تصغير|خريطة تبين الدول حسب أفضل النتائج
وفي بطولات كأس العالم ما بين 1934 و1978 تنافست 16 دولة للفوز بكأس العالم، باستثناء 1938 و1950 حين انسحبت بعض الفرق بعد تأهلها، وقد لعبت تلك البطولات ب15 و13 فريق، وكانت معظم الفرق المشاركة من أوروبا وأمريكا الجنوبية، مع مشاركة قليلة من أمريكا الشمالية وآسيا وأفريقيا وأوقيانوسيا.[189] وكانت هذه الفرق محط عبور لفرق أمريكا الجنوبية وأوروبا، وحتى عام 1978 تأهلت القليل من الفرق إلى ما بعد الدور الأول مثل منتخب الولايات المتحدة لكرة القدم في عام 1930 تأهل إلى الدور النصف نهائي، ومنتخب كوبا لكرة القدم تأهل إلى الدور الربع نهائي في عام 1938، ومنتخب كوريا الشمالية لكرة القدم تأهل إلى الدور الربع نهائي في عام 1966، ومنتخب المكسيك لكرة القدم تأهل إلى الدور ربع النهائي في عام 1970.
وفي عام 1982، تم زيادة عدد الفرق المشاركة في كأس العالم إلى 24 فريق،[190] وفي عام 1998 تم زيادتهم إلى 32 فريق،[191] مما جعل العديد من الفرق من آسيا وأفريقيا وأمريكا الشمالية تتأهل إلى النهائيات، ولم تتم زيادة مقاعد أوقيانوسيا، وفي تلك السنين استطاعت الدول من تلك المناطق أن تحقق النجاح، حيث تخطى العديد منهم الدور الأول، مثل منتخب المكسيك لكرة القدم الذي وصل إلى الدور ربع النهائي في عام 1986 ووصل إلى الأدوار المتقدمة في أعوام 1994 و1998 و2002 و2006، ومنتخب المغرب لكرة القدم الذي وصل إلى الدور الثاني في عام 1986، ومنتخب الكاميرون لكرة القدم وصل إلى الدور الربع نهائي في عام 1990 وأيضا في نفس البطولة وصل منتخب كوستاريكا لكرة القدم إلى الدور الثاني، ومنتخب نيجيريا لكرة القدم وصل إلى الدور الثاني في بطولتي 1994 و1998، ومنتخب السعودية لكرة القدم وصل إلى الدور الثاني في عام 1994، ومنتخب الولايات المتحدة لكرة القدم وصل إلى الدور الثاني في عام 1994 والدور الربع نهائي في عام 2002، ومنتخب تركيا لكرة القدم المركز الثالث في عام 2002 ومنتخب كوريا الجنوبية لكرة القدم حصل على المركز الرابع في كأس العالم لكرة القدم 2002 ، ومنتخب السنغال لكرة القدم وصل إلى الدور الربع نهائي في عام 2002، ومنتخب اليابان لكرة القدم وصل إلى الدور الثاني في عام 2002، ومنتخب أستراليا لكرة القدم ومنتخب غانا لكرة القدم وصلا إلى الدور الثاني في عام 2006 والدور الربع نهائي في عام 2010 وبالرغم من ذلك فإن منتخبات أوروبا وأمريكا الجنوبية تظل هي الأقوى في تلك البطولات، فمثلا جميع المنتخبات التي وصلت إلى الدور الربع نهائي في كأس العالم لكرة القدم 2006 كانت من أمريكا الجنوبية وأوروبا.
وفي تصفيات كأس العالم لكرة القدم 2006 شاركت 198 دولة فيها، ولم تسنح الفرصة لثلاثة دول لكي تشارك في التصفيات وهي تيمور الشرقية وبوتان وجزر القمر (جزر القمر وتيمور الشرقية لم يكونوا أعضاء في الإتحاد الدولي لكرة القدم في أثناء إقامة قرعة التصفيات). وتوجد هنالك بطولة كأس العالم لكرة القدم للسيدات، وقد أقيمت أول بطولة في عام 1991 في الصين. بينما في تصفيات كأس العالم لكرة القدم 2010، شاركت 204 دولة في التصفيات.[192]
وفي 10 يناير 2017 في زيورخ قرر مجلس الفيفا بالإجماع رفع عدد المنتخبات المشاركة في البطولة إلى 48 منتخباً، بدءاً من دورة عام 2026.[193]
التصفيات
أقيمت أول بطولة كأس عالم في الأوروغواي بدون تصفيات تمهيدية وهي أول وآخر بطولة تقام بدون تلك التصفيات. وعلى ذلك لم يزد عدد الدول المشاركة في البطولة عن 13 دولة قسمت إلى أربع مجموعات.[194] في النسخة الثانية كأس العالم لكرة القدم 1934، أقيمت تصفيات كأس العالم بصورة منتظمة، حيث أقيمت التصفيات في قارات العالم الستة (أوروبا، آسيا، أفريقيا، أمريكا الجنوبية، أمريكا الشمالية، أوقيانوسيا)، وفي كأس بطولة يحدد الفيفا عدد المنتخبات التي تتأهل من كل قارة، وبشكل عام يكون هذا التحديد بحسب قوة الفرق التي في القارة. وعادة ما تبدأ تصفيات كأس العالم قبل البطولة بسنتين أو ثلاث، ومنذ عام 1938 يتأهل الفريق المضيف بصورة مباشرة، وكان بطل المسابقة السابقة يتأهل إلى البطولة مباشرة، لكن تم إلغاء هذا النظام في عام 2006.[195]
ستشهد بطولة كأس العالم لكرة القدم 2018 مشاركة 32 منتخب من جميع قارات العالم الست، حيث تم تخصيص مقعد واحد للبلد المستضيف روسيا، ولم يُمنح حامل اللقب منتخب ألمانيا مقعداَ مباشراَ مثلما كان الحال في البطولات السابقة.[196][196] المقاعد ال31 المتبقية سيتم تحديدها من خلال مباريات التصفيات المؤهلة لكأس العالم 2018. ويضم الاتحاد الدولي لكرة القدم (الفيفا) حوالي 209 عضواً، حيث باستطاعة كل عضو أو كان المشاركة بمنتخبه الرئيسي.[197] ومن الجدير بالذكر أنه قد تم استبعاد منتخب اندونيسيا ومنتخب زيمبابوي قبل بداية التصفيات بسبب مشكلات خارج إطار لعبة كرة القدم. وستتنافس المنتخبات (209 منتخب) في مشوار التصفيات الذي سيشمل 851 مباراة، أغلب تلك المباريات شتكون ضمن إطار تصفيات القارات الست، بالإضافة للعب عدد محدد من مباريات بعد الانتهاء من التصفيات ضمن المباريات الفاصلة بين الاتحادات القارية والتي تعرف باسم الملحق القاري.[198] وتستغرق التصفيات ما يقارب عامين وثمانية أشهر من أجل التأهل لخوض منافسات بطولة كأس العالم لكرة القدم.[199] في هذه النسخة، حدد الاتحاد الدولي لكرة القدم عدد المقاعد المؤهلة لكل قارة، فحصدت قارة أوروبا النصيب الأكبر من تلك المقاعد (13 مقعداً)، تلتها قارة إفريقيا) ب 5 مقاعد، ثم كل من قارة آسيا وقارة أمريكا الجنوبية ب 4 مقاعد ونصف مقعد، ثم قارة قارة أمريكا الشمالية ومنطقة الكاريبي ب 3 مقاعد ونصف، وأخيراً قارة أوقيانوسيا بنصف مقعد فقط. ويصبح بذلك عدد المقاعد 31 مقعداً مؤهلاً لبطولة كأس العالم لكرة القدم.
أوروبا (الاتحاد الأوروبي) - 13 مقعداً: تقسم المنتخبات المشاركة إلى 9 مجموعات من 6 فرق، أبطال تلك المجموعات التسعة يتأهلون مباشرة إلى كأس العالم. بينما تشارك أفضل ثمانية منتخبات تحتل المركز الثاني في جولة المقبلة. حيث ستتوزع المنتخبات على 4 مواجهات بنظام الموجهات المباشرة، المنتخبات الأربعة الفائزة ستتأهل إلى كأس العالم. بينما تأهلت روسيا مباشرة بكونها الدولة المستضيفة.
آسيا (الاتحاد الآسيوي) - 4 مقاعد ونصف: سيلعب 40 فريقا في المرحلة الثانية التي تتألف من ثماني مجموعات وتضم كل مجموعة خمسة فرق، ويتأهل متصدرو المجموعات الثماني وأفضل أربعة فرق تحتل المركز الثاني للمرحلة الثالثة حيث يتم تقسيم المنتخبات إلى مجموعتين تتألف كل مجموعة من ستة فرق. بحيث يتأهل بطل المجموعة ووصيفها مباشرة إلى كأس العالم، بينما يلعب ثالث المجموعة مع ثالث المجموعة الأخرى في مباراتين، الفائز منها يواجه رابع الترتيب في قارة أمريكا الشمالية والوسطى والكاريبي.
أمريكا الجنوبية (اتحاد أمريكا الجنوبية) - 4 مقاعد مضمونة ونصف: تلعب المنتخبات العشرة في مجموعة واحدة بحيث تتأهل المنتخبات الأربعة الأوائل مباشرة إلى كأس العالم، بينما ينافس المركز الخامس على التأهل عندما يواجه المتأهل من ملحق قارة أوقيانوسيا.
أفريقيا (الاتحاد الإفريقي) - 5 مقاعد: سيتأهل 27 منتخباً مع 13 منتخباً للمشاركة في منافسات المرحلة الثانية من خلال خوض مباريات بنظام خروج المغلوب، وسيخوض 20 منتخبا فائزا الدور الثالث حيث سيتم تقسيمهم إلى خمس مجموعات تتألف كل مجموعة من أربعة فرق وسيتأهل متصدر كل مجموعة لنهائيات كأس العالم.
أمريكا الشمالية والوسطى والكاريبي (اتحاد أمريكا الشمالية): 3 مقاعد ونصف: وستتقسم المنتخبات إلى 3 مجموعات تضم كل واحدة أربعة منتخبات، بحيث يتأهل بطل ووصيف المجموعة إلى الدور الذي يليه، بحيث تشارك جميعها في مجموعة واحدة، يتأهل أصحاب المراكز الثلاثة الأولى مباشرة لكأس العالم بينما يلعب صاحب المركز الرابع مباراة الملحق مع المتأهل من تصفيات قارة آسيا.
أوقيانوسيا (اتحاد أوقيانوسيا) - نصف مقعد: حيث يلعب بطل تصفيات قارة أوقيانوسيا مع خامس الترتيب في تصفيات قارة أمريكا الجنوبية.[200]
دور المجموعات
قديماً وتحديداً من كأس العالم لكرة القدم 1934، كانت التصفيات التأهيلية تقام قبل بداية البطولة بأيام، فآخر مباراة في التصفيات المؤهلة لكأس العالم لكرة القدم 1934 أقيمت بين الولايات المتحدة والمكسيك قبل 3 أيام من بداية البطولة في العاصمة الإيطالية روما حيث حقق المنتخب الأول الانتصار وتأهل للمشاركة في البطولة.[201] ومن ثم تقسم الفرق المتأهلة على المجموعات طبقاً لاتحادات القارية الست.
نظرًا لمشاركة 16 منتخباً في بطولات كأس العالم وتحديداً من بطولة كأس العالم 1930 ولغاية كأس العالم 1978، كان دور المجموعات يتكون من 4 مجموعات، كل مجموعة تحتوي على 4 فرق يتأهل أول وثاني المجموعة للدور المقبل. لكن الحال تغير منذ بطولة كأس العالم 1982 عندما قرر الاتحاد الدولي لكرة القدم زيادة عدد المنتخبات إلى 24 منتخباً، فأصبح دور المجموعات يتكون من 6 مجموعات، كل مجموعة تحتوى على 4 فرق أول وثاني المجموعة من الدور الأول، بالإضافة إلى أفضل 4 فرق احتلت المركز الثالث.[202] استمر هذا النظام لغاية بطولة كأس العالم 1998 عندما قرر الاتحاد الدولي لكرة القدم مرة أخرى زيادة عدد المنتخبات لتصبح 32 منتخباً، مما جعل دور المجموعات يتكون من 8 مجموعات، كل مجموعة تحتوى على 4 فرق يتأهل أول وثاني المجموعة للدور المقبل.[203]
بطولات كأس العالم الحالية تضم 32 منتخباً من قارات العالم الست. تتنافس هذه المنتخبات لمدة شهر كامل في أرض الدولة المضيفة لنيل شرف الفوز بلقب البطولة. المرحلة الأولى من المنافسات تبدأ بدور المجموعات. ويتكون دور المجموعات من 8 مجموعات، ويلعب كل أربعة منتخبات في مجموعة، يتأهل بطلها ووصيفه إلى الدور المقبل.[204] ويتم تقسيم المنتخبات المشاركة على أربعة مستويات بالاعتماد على تصنيف الفيفا العالمي للمنتخبات وطبقا لمعايير رياضية وجغرافية.[205]
ومنذ عام 1998 تم إقرار بعض القواعد في تقسيم المنتخبات، ومنها ما نص على عدم وقوع أكثر من فريقين أوروبيين في مجموعة واحدة كما تنص على عدم وقوع أكثر من فريق واحد من كل اتحاد قاري آخر في مجموعة واحدة،[206] لتجنيب منتخبات القارة الواحدة من المواجهة المبكرة في مجموعة واحدة.[207] وبسبب عدم تساوي المنتخبات في الأوعية الأربعة.[208]
يخوض كل منتخب 3 مباريات في دور المجموعات ضد الفرق الأخرى في نفس المجموعة. وتلعب الجولة الأخيرة في المجموعة بتوقيت واحد للحفاظ على العدل بين جميع الفرق الأربعة.[209] أكثر فريقين حصداً للنقاط يتأهلان للدور المقبل. ومنذ عام 1994 تستخدم النقاط لترتيب الفرق ضمن المجموعة، فيتم منح ثلاث نقاط للفوز، واحدة للتعادل ولا شيء للخسارة، بعدما كان في السابق يحصل الفائز على نقطتين فقط. وفي حالة تساوي النقاط يت تطبيق قوانين الفيفا التالية:[210]
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%83%D8%A3%D8%B3%20%D8%A7%D9%84%D8%B9%D8%A7%D9%84%D9%85 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1147,
2654,
4486,
5046,
5388,
6390,
8109,
8874,
9651,
10105,
10211,
11213,
11387,
11557,
11725
],
"plaintext_end_byte": [
1099,
2552,
4422,
5019,
5356,
6325,
8042,
8792,
9619,
10066,
10210,
11153,
11386,
11531,
11689,
11801
]
} | నార్పాల మండలంలో ఎన్ని గ్రామాలు ఉన్నాయి? | నార్పల | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | నార్పాల (ఆంగ్లం: Narpala), ఆంధ్ర ప్రదేశ్ రాష్ట్రములోని అనంతపురం జిల్లా, నార్పల మండలం లోని.గ్రామం, ఆ మండలానికి కేంద్రం. పిన్ కోడ్: 515425.[1]ఇది సమీప పట్టణమైన అనంతపురం నుండి 23 కి. మీ. దూరంలో ఉంది. 2011 భారత జనగణన గణాంకాల ప్రకారం ఈ గ్రామం 4876 ఇళ్లతో, 18982 జనాభాతో 4260 హెక్టార్లలో విస్తరించి ఉంది. గ్రామంలో మగవారి సంఖ్య 9466, ఆడవారి సంఖ్య 9516. షెడ్యూల్డ్ కులాల సంఖ్య 1900 కాగా షెడ్యూల్డ్ తెగల సంఖ్య 402. గ్రామం యొక్క జనగణన లొకేషన్ కోడ్ 595057[2].పిన్ కోడ్: 515 425.
విద్యా సౌకర్యాలు
గ్రామంలో 10ప్రైవేటు బాలబడులు ఉన్నాయి. ప్రభుత్వ ప్రాథమిక పాఠశాలలు ఆరు, ప్రైవేటు ప్రాథమిక పాఠశాలలు 10, ప్రభుత్వ ప్రాథమికోన్నత పాఠశాలలు మూడు , ప్రైవేటు ప్రాథమికోన్నత పాఠశాలలు రెండు, ప్రభుత్వ మాధ్యమిక పాఠశాలలు రెండు, ప్రైవేటు మాధ్యమిక పాఠశాలలు రెండు ఉన్నాయి. ఒక ప్రభుత్వ జూనియర్ కళాశాల ఉంది.ఒక ప్రైవేటు వృత్తి విద్యా శిక్షణ పాఠశాల ఉంది. సమీప ప్రభుత్వ ఆర్ట్స్ / సైన్స్ డిగ్రీ కళాశాల, ఇంజనీరింగ్ కళాశాల, సమీప వైద్య కళాశాల, మేనేజిమెంటు కళాశాల, పాలీటెక్నిక్, సమీప అనియత విద్యా కేంద్రం, దివ్యాంగుల ప్రత్యేక పాఠశాల అనంతపురం లో ఉన్నాయి.
వైద్య సౌకర్యం
ప్రభుత్వ వైద్య సౌకర్యం
నార్పలలో ఉన్న ఒకప్రాథమిక ఆరోగ్య కేంద్రంలో ఒక డాక్టరు, ఆరుగురు పారామెడికల్ సిబ్బందీ ఉన్నారు. రెండు ప్రాథమిక ఆరోగ్య ఉప కేంద్రాల్లో డాక్టర్లు లేరు. నలుగురు పారామెడికల్ సిబ్బంది ఉన్నారు. ఒక డిస్పెన్సరీలో ఇద్దరు డాక్టర్లు , ఇద్దరు పారామెడికల్ సిబ్బందీ ఉన్నారు. ఒక పశు వైద్యశాలలో ఒక డాక్టరు, ఒకరు పారామెడికల్ సిబ్బందీ ఉన్నారు. ఒక కుటుంబ సంక్షేమ కేంద్రంలో ఒక డాక్టరు, ఒకరు పారామెడికల్ సిబ్బందీ ఉన్నారు. సంచార వైద్య శాల గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. సమీప సామాజిక ఆరోగ్య కేంద్రం, మాతా శిశు సంరక్షణ కేంద్రం, టి. బి వైద్యశాల గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరంలో ఉన్నాయి. అలోపతి ఆసుపత్రి, ప్రత్యామ్నాయ ఔషధ ఆసుపత్రి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరంలో ఉన్నాయి.
ప్రైవేటు వైద్య సౌకర్యం
గ్రామంలో 8 ప్రైవేటు వైద్య సౌకర్యాలున్నాయి. ఎమ్బీబీయెస్ డాక్టర్లు ఇద్దరు, ఎమ్బీబీయెస్ కాకుండా ఇతర డిగ్రీలు చదివిన డాక్టర్లు ఆరుగురు, డిగ్రీ లేని డాక్టర్లు ఇద్దరు ఉన్నారు. ఆరు మందుల దుకాణాలు ఉన్నాయి.
తాగు నీరు
గ్రామంలో కుళాయిల ద్వారా శుద్ధి చేయని నీరు సరఫరా అవుతోంది. గ్రామంలో ఏడాది పొడుగునా చేతిపంపుల ద్వారా నీరు అందుతుంది.
పారిశుధ్యం
గ్రామంలో భూగర్భ మురుగునీటి వ్యవస్థ ఉంది. మురుగునీరు బహిరంగ కాలువల ద్వారా కూడా ప్రవహిస్తుంది. మురుగునీటిని నేరుగా జలవనరుల్లోకి వదులుతున్నారు. గ్రామంలో సంపూర్ణ పారిశుధ్య పథకం అమలవుతోంది. సామాజిక మరుగుదొడ్డి సౌకర్యం లేదు. ఇంటింటికీ తిరిగి వ్యర్థాలను సేకరించే వ్యవస్థ లేదు. సామాజిక బయోగ్యాస్ ఉత్పాదక వ్యవస్థ లేదు. చెత్తను వీధుల పక్కనే పారబోస్తారు.
సమాచార, రవాణా సౌకర్యాలు
నార్పలలో పోస్టాఫీసు సౌకర్యం, సబ్ పోస్టాఫీసు సౌకర్యం, పోస్ట్ అండ్ టెలిగ్రాఫ్ ఆఫీసు ఉన్నాయి. లాండ్ లైన్ టెలిఫోన్, పబ్లిక్ ఫోన్ ఆఫీసు, మొబైల్ ఫోన్, ఇంటర్నెట్ కెఫె / సామాన్య సేవా కేంద్రం, ప్రైవేటు కొరియర్ మొదలైన సౌకర్యాలు ఉన్నాయి. సమీప గ్రామాల నుండి ఆటో సౌకర్యం ఉంది. వ్యవసాయం కొరకు వాడేందుకు గ్రామంలో ట్రాక్టర్లున్నాయి. . ప్రభుత్వ రవాణా సంస్థ బస్సు సౌకర్యం, ప్రైవేటు బస్సు సౌకర్యం మొదలైనవి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి. రాష్ట్ర రహదారి, ప్రధాన జిల్లా రహదారి, జిల్లా రహదారి గ్రామం గుండా పోతున్నాయి. జాతీయ రహదారి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది. గ్రామంలో తారు రోడ్లు, కంకర రోడ్లు, మట్టిరోడ్లూ ఉన్నాయి.
మార్కెటింగు, బ్యాంకింగు
గ్రామంలో ఏటీఎమ్, వాణిజ్య బ్యాంకు, వ్యవసాయ పరపతి సంఘం ఉన్నాయి. గ్రామంలో స్వయం సహాయక బృందం, పౌర సరఫరాల కేంద్రం, వారం వారం సంత ఉన్నాయి. సహకార బ్యాంకు గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది. వ్యవసాయ మార్కెటింగ్ సొసైటీ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది.
ఆరోగ్యం, పోషణ, వినోద సౌకర్యాలు
గ్రామంలో సమీకృత బాలల అభివృద్ధి పథకం, అంగన్ వాడీ కేంద్రం, ఇతర పోషకాహార కేంద్రాలు, ఆశా కార్యకర్త ఉన్నాయి. గ్రామంలో ఆటల మైదానం, సినిమా హాలు, గ్రంథాలయం, పబ్లిక్ రీడింగ్ రూం ఉన్నాయి. గ్రామంలో వార్తాపత్రిక పంపిణీ జరుగుతుంది. అసెంబ్లీ పోలింగ్ స్టేషన్, జనన మరణాల నమోదు కార్యాలయం ఉన్నాయి.
విద్యుత్తు
గ్రామంలో గృహావసరాల నిమిత్తం విద్యుత్ సరఫరా వ్యవస్థ ఉంది. రోజుకు 7 గంటల పాటు వ్యవసాయానికి, 12 గంటల పాటు వాణిజ్య అవసరాల కోసం కూడా విద్యుత్ సరఫరా చేస్తున్నారు.
భూమి వినియోగం
నార్పలలో భూ వినియోగం కింది విధంగా ఉంది:
అడవి: 27 హెక్టార్లు
వ్యవసాయేతర వినియోగంలో ఉన్న భూమి: 168 హెక్టార్లు
వ్యవసాయం సాగని, బంజరు భూమి: 726 హెక్టార్లు
వ్యవసాయం చేయదగ్గ బంజరు భూమి: 596 హెక్టార్లు
సాగులో లేని భూముల్లో బీడు భూములు కానివి: 155 హెక్టార్లు
బంజరు భూమి: 1 హెక్టార్లు
నికరంగా విత్తిన భూమి: 2584 హెక్టార్లు
నీటి సౌకర్యం లేని భూమి: 2159 హెక్టార్లు
వివిధ వనరుల నుండి సాగునీరు లభిస్తున్న భూమి: 580 హెక్టార్లు
నీటిపారుదల సౌకర్యాలు
నార్పలలో వ్యవసాయానికి నీటి సరఫరా కింది వనరుల ద్వారా జరుగుతోంది.
కాలువలు: 292 హెక్టార్లు
బావులు/బోరు బావులు: 288 హెక్టార్లు
ఉత్పత్తి
నార్పలలో ఈ కింది వస్తువులు ఉత్పత్తి అవుతున్నాయి.
ప్రధాన పంటలు
వేరుశనగ, వరి, పొద్దుతిరుగుడు
మూలాలు
వెలుపలి లంకెలు
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%A8%E0%B0%BE%E0%B0%B0%E0%B1%8D%E0%B0%AA%E0%B0%B2 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
505,
1314,
1570,
1838,
2995,
3425,
3832,
4082,
4281,
5070,
5765,
6328,
6666,
8008,
9602,
10299,
11185,
11552,
12384,
13075,
13525,
14007,
14330,
15044,
15798,
17103,
17894,
19027,
19405,
19536,
19830,
20194,
20769,
21268,
21849,
22299,
22514,
23077,
23701,
24599,
25449,
25732,
26488,
27316,
27501,
28373,
29194,
29771,
30260,
31164,
32526,
33226,
33381,
34454,
35196,
35798,
36772,
37208,
37555,
38330,
39419,
40220,
41016,
42556,
43023,
44713,
45504,
46373,
47046,
47704,
48841,
49195,
49805,
50562,
51426,
52759,
53340,
53546,
54158,
55060,
55671,
56032,
57063,
57447,
58078,
58506,
58972,
59274
],
"plaintext_end_byte": [
504,
1313,
1569,
1807,
2974,
3424,
3831,
4081,
4280,
5069,
5764,
6300,
6665,
8007,
9594,
10298,
11184,
11551,
12366,
13074,
13524,
13993,
14312,
15036,
15790,
17095,
17886,
19016,
19391,
19535,
19829,
20193,
20757,
21254,
21848,
22298,
22500,
23059,
23693,
24591,
25448,
25721,
26477,
27305,
27493,
28372,
29174,
29740,
30245,
31143,
32496,
33215,
33363,
34442,
35178,
35780,
36771,
37207,
37537,
38319,
39401,
40202,
41015,
42538,
43022,
44695,
45458,
46372,
47035,
47703,
48840,
49166,
49804,
50530,
51425,
52758,
53322,
53545,
54157,
55059,
55619,
56031,
57062,
57425,
58077,
58505,
58957,
59224,
59331
]
} | 지구와 가장 가까운 행성은 무엇인가요? | 태양계 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
태양계(太陽系, , , )는 대략 46억 년 전 분자운의 중력붕괴로 형성된 태양과, 항성인 태양의 중력에 이끌려 있는 주변 천체가 이루는 체계를 말한다.
태양을 중심으로 공전하는 행성은 소행성대를 기준으로 안쪽에 있는 네 개의 고체 행성인 수성, 금성, 지구, 화성, 즉 지구형 행성과, 바깥쪽에 있는 네 개의 유체 행성인 목성, 토성, 천왕성, 해왕성, 즉 목성형 행성으로 알려져 있다.
행성 외에도 태양계의 구성 천체로는 소천체로 이루어진 띠도 있다. 화성과 목성 사이에 있는 소행성대의 천체 무리는 대부분 지구형 행성과 비슷한 성분을 지니고 있다. 카이퍼 대와 그 소집단 산란 분포대는 해왕성 궤도 너머에 있으며, 이곳의 천체는 대부분 물, 암모니아, 메탄 등이 얼어 있는 형태로 구성되어 있다. 소행성대와 카이퍼 대, 산란분포대 천체 세레스, 명왕성, 하우메아, 마케마케, 에리스는 행성만한 힘은 없지만 자체 중력으로 구형을 유지할 만큼 크다고 인정되어 왜행성이라고 불린다. 장주기 혜성의 고향으로 알려져 있는 오르트 구름은 지금까지의 구역의 대략 천 배의 거리에 걸쳐 있다.
태양계 내에서 혜성, 센타우루스족, 우주 먼지 같은 소천체는 이런 구역을 자유롭게 떠다닌다. 또한 태양으로부터 나오는 플라스마 흐름인 태양풍은 태양권 내에서 항성풍 거품을 만들어 낸다.
행성 여섯 개(지구, 화성, 목성, 토성, 천왕성, 해왕성)와 왜행성 네 개(명왕성, 에리스, 하우메아, 마케마케)는 위성을 가지고 있으며, 목성형 행성은 자체적인 고리를 가지고 있다.
태양계의 발견과 탐험
수천 년 동안 인류는 (몇몇 주목할 만한 예외가 있지만) 태양계의 존재를 인식하지 못하였다. 그들은 지구가 우주의 중심에 있고 움직이지 않으며, 하늘에서 움직이는 다른 천체와는 절대적으로 다른 존재라고 믿었다. 인도의 수학자이자 천문학자인 아리아바타와 고대 그리스의 철학자 사모스의 아리스타르코스가 태양 중심의 우주론을 추측하기도 했지만[1], 태양중심설을 최초로 수학적으로 예측한 사람은 니콜라우스 코페르니쿠스다. 17세기에는 그 계승자 요하네스 케플러, 갈릴레오 갈릴레이, 아이작 뉴턴이 물리학에 대한 이해로 지구가 태양 주위를 움직이고, 행성은 지구를 제어하는 힘과 같은 힘으로 제어된다는 생각을 수용하였다. 좀 더 최근에는, 망원경 기술이 발달하고 무인 우주선을 사용할 수 있게 됨으로써, 다른 행성의 산맥이나 크레이터 등과 같은 지질학적 현상과 구름, 모래폭풍, 만년설 같은 기상학적 현상을 조사할 수 있게 되었다.
태양계의 구성
태양의 질량과 태양을 제외한 태양계 전체의 질량을 비교한 것. 파란색이 태양, 빨간색이 목성, 초록색이 토성이다. 토성보다 작은 천체는 이 그래프에 보이지 않는다.
태양계 행성의 질량 비교 그래프. 목성(주황색)이 71%, 토성(회색)이 21%를 차지하고 있다. 0.1% 이하를 차지하는 수성과 화성은 이 그래프에 표시되지 않았다.
태양계의 중요 구성 요소인 G형 주계열성 태양은 현재까지 알려진 태양계 전체 질량의 99.86 퍼센트를 차지하며, 중력으로 태양계의 천체를 지배한다[2]. 태양 주위 궤도를 선회하는 네 개의 거대 가스 행성은 태양을 제외한 태양계 질량의 99퍼센트를 차지하며, 그 중 90퍼센트를 목성과 토성이 차지한다.[주 1]
태양 주위를 궤도 선회하는 대부분의 큰 천체의 궤도는 지구 궤도, 황도와 거의 평행하다. 행성이 황도와 매우 가까운 데 비해 혜성이나 카이퍼 대 천체는 그 각도가 두드러지게 크다.[6][7].
모든 행성과 대부분의 다른 천체는 태양의 자전 방향(태양의 북극에서 보았을 때 시계 반대 방향)으로 공전한다. 하지만 핼리 혜성 같은 예외도 있다.
태양 주위 천체의 궤도를 케플러의 행성운동법칙으로 묘사할 수 있다. 케플러의 법칙에 따르면, 개개의 천체는 태양을 한 초점으로 하는 타원의 궤도를 따라 운동한다. 태양에 가깝고 작은 반장축을 가지고 있는 천체는 1년이 보다 짧다. 태양에서 천체가 가장 가까울 때의 점을 〈근일점〉, 태양에서 천체가 가장 멀 때의 점을 〈원일점〉이라고 한다. 천체는 근일점에서 가장 빠르게 운동하고, 원일점에서 가장 느리게 운동한다. 행성의 궤도는 원형에 가까운 타원이지만, 혜성이나 카이퍼 대 천체 등의 궤도는 길쭉한 타원형이다. 특히, 세드나는 엄청나게 찌그러진 타원형 궤도를 가지고 있다.
많은 태양계 모형에서는 행성 간의 거리가 너무 멀기 때문에, 그 거리를 왜곡하여 행성간의 거리를 거의 같게 해 놓은 것을 볼 수 있다. 하지만 현실은 몇몇 예외를 빼면, 태양에서 더 먼 행성이나 대(帶)일수록 안쪽의 궤도와의 간격이 더 넓다. 예를 들어, 금성은 수성보다 대략 0.33천문단위(AU)[주 2] 더 바깥에 있지만, 토성은 목성보다 4.3AU 바깥에 있고, 해왕성은 천왕성보다 10.5AU 바깥에 있다. 궤도 간 거리의 상호 관계의 규칙을 명확히 하려는 시도가 있었지만(티티우스-보데의 법칙 참조)[8], 아직까지 인정된 이론은 없다.
태양계의 행성 대부분은 그 자신의 천체 체계를 가지고 있다. 행성 주위를 공전하는 천체는 자연 위성, 혹은 그냥 단순히 위성이라고 하는데, 그 중 몇은 행성보다도 크다[주 3]. 대표적인 예로 가니메데가 있다. 대형 위성은 대부분 조석고정을 하며, 모행성을 향해 영구히 한쪽 면만 보인다. 또한, 네 개의 거대한 행성 목성형 행성은 행성 주위를 선회하는 작은 입자의 얇은 띠인 행성 고리를 가지고 있다.
태양계에 대한 용어
비공식적으로 태양계는 종종 여러 부분으로 나뉜다. 내행성에는 네 개의 암석 행성과 소행성대가 포함된다. 소행성대 너머 외행성에는 네 개의 가스 행성이 포함된다[9]. 카이퍼 대의 발견으로 태양계의 규모는 해왕성 너머 천체까지 미치게 되었다.[10][11].
물리적, 동역학적 관점에서 태양 주위를 도는 천체는 행성, 왜행성, 태양계 소천체(small Solar System bodies)의 세 종류로 분류된다. 행성은 구형의 몸체를 이룰 정도로 충분한 질량을 가지면서, 공전 궤도상에 있던 자신보다 작은 모든 천체를 ‘빨아먹은’ 천체를 일컫는다. 이 정의에 따르면, 태양계에는 수성, 금성, 지구, 화성, 목성, 토성, 천왕성, 해왕성 8개의 행성이 있다. 명왕성은 궤도 근처에 있는 카이퍼 대 물질을 빨아들여 커지지 못하여 위의 정의를 만족하지 못한다[12]. 왜행성은 구형의 몸체를 이룰 정도로 충분한 질량을 가지면서 태양을 공전하고 있으나, 행성과는 달리 궤도 근처의 자신보다 작은 천체를 청소하지 못한 천체를 일컫는다[12]. 이 정의에 따르면, 태양계에는 1 세레스, 명왕성, 하우메아, 마케마케, 에리스 5개의 왜행성이 있다[13]. 90377 세드나, 90482 오르쿠스, 50000 콰오아 등 다른 천체는 장래에 왜행성으로 분류될 가능성이 있다[14]. 해왕성 횡단 영역 내를 돌고 있는 왜행성을 명왕성형 천체 또는 플루토이드로 부른다[15]. 태양 주위를 돌고 있는 나머지 천체를 태양계 소천체로 부른다[12].
행성과학자들은 태양계 전역에서 발견되는 다양한 종류의 물질을 가스(기체), 얼음, 암석 등의 용어로 표현한다[16]. ‘암석’은 원시 행성계 성운 내 거의 모든 상황에서 고체로 남아 있을 수 있는, 녹는점이 높은 혼합물을 말한다[16]. 암석 물질은 보편적으로 규소와, 철이나 니켈과 같은 금속을 포함한다[17]. 암석 물질은 내행성 지대에 흔하게 존재하며, 암석 행성과 소행성의 몸체를 구성하는 주요 물질이 된다. ‘가스’는 분자 수소, 헬륨, 네온 등 녹는점이 극도로 낮으며, 높은 증기압을 갖는 물질을 말한다. 이들은 성운 내에서 언제나 기체 상태를 유지한다[16]. 가스 물질은 목성과 토성 등 ‘중간 지대’를 돌고 있는 행성의 대부분을 구성한다. ‘얼음’은 물, 메탄, 암모니아, 황화 수소, 이산화 탄소와 같은 물질로서[17], 녹는점은 수백 켈빈 정도이며, 환경상 압력과 온도에 따라 그 형태를 달리하는 물질이다[16]. 이들 물질은 태양계 내에 얼음, 액체, 기체 등의 다양한 상태로 존재하고 있다. 성운 내에서는 고체 또는 기체 상태로 존재한다[16]. 얼음 물질은 가스 행성의 위성 몸체 대부분, 천왕성과 해왕성(일명 ‘얼음 가스행성’)의 내부 구성물 대부분, 해왕성 궤도 너머 수많은 작은 천체의 몸체 대부분을 구성하는 것으로 여겨진다[17][18]. 가스와 얼음을 ‘휘발성 물질’로도 부른다.
태양
태양은 태양계의 중심에서 태양계 천체를 중력적으로 지배하며, 인류가 그 표면을 관찰할 수 있을 정도로 가까이 놓여 있는 유일한 항성이다[19]. 그 질량은 태양계 구성 물질의 거의 전부를 차지한다. 막대한 질량(지구질량의 33만 2,900배)[20] 때문에 태양 내부는 핵융합이 일어나기에 충분한 밀도가 유지될 수 있으며, 융합 반응을 통해 막대한 양의 에너지가 전자기 복사 형태로 우주 공간으로 방출된다. 전자기 복사 중 400~700 나노미터 띠 부분이 우리가 가시광선으로 부르는 영역이고, 인간의 눈으로 볼 수 있는 부분이다[21].
태양의 표면 온도는 약 5,800 켈빈으로[19] 분광형상 G2 V에 속하는데, 이는 ‘질량이 큰 편에 속하는 황색 왜성’이다. 그러나 태양은 앞의 이름처럼 작은 별(왜성)은 아니다. 우리 은하에 속해 있는 모든 별 중에서 태양은 제법 무겁고 밝은 별이다[22]. 색등급도는 항성의 밝기와 표면 온도를 각 축으로 삼아 항성을 평면 위에 표시하고 있다. 이 표에 따르면, 뜨거운 별은 대체로 밝다. 이 법칙을 따르는 별은 주계열로 불리는 띠 위에 몰려 있으며, 태양은 이 주계열 띠의 한가운데에 자리 잡고 있다. 그러나 태양보다 밝고 뜨거운 별은 드물며, 그 반대의 경우(적색왜성, K형 주계열성)는 흔하다. 적색왜성의 경우 우리 은하 항성의 85퍼센트를 차지한다고 알려져 있다[22][23].
주계열 위에서 태양의 위치는 ‘생애의 한가운데’로 여겨지는데, 이는 태양이 아직 중심핵에 있는 수소를 이용해 핵융합을 하는것으로 수소를 모두 소진하지 않았기 때문이다. 태양은 천천히 밝아지고 있으며, 처음 태어났을 때의 태양 밝기는 지금의 70퍼센트 수준이었다[24].
태양은 종족 I 항성에 속하는데, 우주 진화의 후기 단계에 태어났으며, 따라서 수소 및 헬륨보다 무거운 ‘금속’을 이전 세대인 종족 II 항성보다 많이 품고 있다[25]. 수소 및 헬륨보다 무거운 원소는 오래전 폭발한 무거운 별의 중심핵에서 만들어진다. 따라서 우주가 태어난 뒤 생겨난 1세대 항성의 내부에는 이러한 무거운 원소가 없었을 것이며, 1세대가 죽음을 맞으면서 우주에는 무거운 물질이 흩어지게 되었다. 태양에 이처럼 무거운 원소가 풍부하다는 사실은 태양 주위에 행성계가 형성되어 있는 현실과 밀접한 연관이 있어 보이는데, 그 이유는 행성은 금속함량이 중력으로 뭉치면서 태어나기 때문이다[26].
행성간 매질
태양은 빛과 함께 대전된 입자, 즉 플라스마의 지속적인 흐름인 태양풍을 발산한다. 이 입자의 흐름은 시속 150만 킬로미터의 속도로 퍼져나가[27], 희박한 태양권을 만드는 데 최소한 100AU까지 퍼져나간다(태양권 계면 문단을 참조)[28]. 이것이 행성간 매질이다. 태양 표면에서 일어나는 태양 플레어나 코로나 질량 방출과 같은 지자기 폭풍은 태양권을 어지럽히고 우주 기후를 만들어 낸다[29]. 태양권 내에서 가장 거대한 구조물은 태양의 회전 자기장으로 인해 행성간 매질에 생성되는 나선형의 태양권 전류편이다[30][31].
지구 자기장은 태양풍이 지구의 대기를 벗기는 것을 막아 준다. 금성과 화성은 자기장을 가지고 있지 않기 때문에 태양풍이 대기를 우주 공간으로 차츰 새어 나가게 하고 있다[32]. 태양풍과 지구 자기장의 상호 작용은 대전된 입자를 지구의 초고층 대기에 직각으로 흐르게 하는데, 이 상호 작용으로 자기극 근처에서 오로라가 만들어진다.
우주선은 태양계 외부가 그 기원이다. 태양권이 태양계를 부분적으로 보호하고, 행성의 자기장(자기장이 있는 행성의 경우에만) 또한 행성을 다소 보호해 준다. 성간물질 안에 있는 우주선의 밀도와 태양 자기장의 세기는 매우 긴 시간에 걸쳐 변화하고, 이에 따라 태양계 안의 우주 방사선의 수준도 변화한다. 그러나 얼마나 변화하는지는 알 수 없다[33].
내행성계
태양계의 안쪽인 내행성계는 지구형 행성과 수많은 소행성으로 구성되어 있다[34]. 이들은 대부분 규산염과 금속으로 구성되어 있으며, 태양에 매우 근접해 있다. 안쪽 태양계 전체의 반지름은 목성과 토성 사이의 거리보다도 짧다.
지구형 행성
네 개의 지구형 행성은 암석으로 조밀하게 구성되어 있으며, 위성이 적거나 없고 고리도 없다. 이러한 행성을 구성하는 광물은 대부분 높은 녹는점을 가지고 있는데, 그 예로 지각과 맨틀을 구성하는 규산염, 핵을 구성하는 철, 니켈과 같은 금속이 있다. 지구형 행성 중 금성, 지구, 화성은 대기와 충돌 크레이터, 열곡, 지구대, 화산과 같은 구조 지질학적인 표면의 특징을 가지고 있다. “지구형 행성”이라는 용어는 “내행성”이라는 용어와 헷갈리면 안 된다. 내행성은 지구와 태양 사이에 있는 행성, 즉 수성과 금성을 가리킨다.
수성
수성(태양에서의 거리 0.4AU)은 태양에 가장 가까운 행성이며, 가장 작은 행성이다(질량이 지구의 0.055배). 수성은 위성이 없으며, 수많은 충돌 크레이터와 쭈글쭈글한 거대한 절벽 등의 지질학적 특징으로만 알려져 있다. 이 절벽은 태양계 역사의 초기에 수성이 수축해서 생긴 것으로 보인다[35]. 수성의 대기는 거의 무시해도 좋을 정도로 그 두께가 얇다[36]. 수성의 커다란 핵과 그에 비해 상대적으로 얇은 맨틀은 그 성분이 아직 확실히 밝혀지지 않았다[37][38]. 수성에 대한 탐사는 아주 미미하여, 1950년 이래로 현재까지 수성 탐사선은 매리너 10호와 메신저뿐이다.
금성
금성(태양에서의 거리 0.7AU)은 지구 질량 81.5퍼센트 크기의 천체로, 가장 바깥쪽에 대기가 있고, 내부적 지질 활동의 증거가 발견되며, 규산염의 맨틀 속에 철질의 핵이 있는 등 외관상 지구와 비슷한 행성이다. 그러나 금성은 지구보다 훨씬 건조하며, 대기의 밀도는 지구의 90배나 된다. 금성에는 자연 위성이 없다. 금성은 태양계 행성 중 가장 뜨거운데, 표면 온도는 섭씨 400도 이상으로, 이처럼 고온이 된 주요 원인은 대기 중 온실 가스 때문이다[39]. 금성의 표면 온도에 플라스틱 안전모를 잠깐 노출시키면 바로 녹아 액체가 되어 버린다[40]. 금성 표면에서 현재도 지질학적 활동이 계속되고 있다는 결정적 증거는 없으나, 대기가 쓸려 나가는 것을 막아 주는 자기장이 없다는 점을 고려하면, 금성의 대기는 화산 폭발로 분출되는 가스를 규칙적으로 공급받는 것으로 보인다[41]. 일반적으로 알려진 금성 사진(회전하는 갈색 구름 사진)은 자외선으로 찍은 다음 가시광선 스펙트럼으로 전환한 것으로, 금성을 그냥 가시광선으로 보면 완전히 노란 황산 구름밖에 보이지 않는다[42].
지구
지구(태양에서의 거리 1AU)는 내행성 중 가장 질량이 크며, 나머지 내 행성 3개를 합친것보다도 크다. 현재도 지질학적 활동이 일어나고 있다고 알려진 유일한 천체이며, 우주에서 생명체가 살고 있음이 증명된 유일한 천체이다[43]. 태양계 내 암석 행성 중 유일하게 바다가 있으며, 지각판 이동이 일어나는 유일한 천체이다. 지구의 대기 또한 식물의 존재로 자유 산소의 함량이 21퍼센트나 된다는 점에서 다른 암석 행성과 판이하게 다르다[44]. 지구는 자연 위성으로 달을 거느리고 있는데, 달은 태양계의 암석 행성 중 유일한 거대 위성이다. 또한 달은 모행성의 크기에 비해 가장 큰 행성이다.
화성
화성(태양에서의 거리 1.5AU)은 수성보다는 크나 지구와 금성보다는 질량이 작은 행성이다(지구 질량의 0.107배). 화성은 대부분 이산화 탄소로 이루어진 얇은 대기가 있다. 화성 표면은 올림포스 산 등 거대한 화산, 매리너 계곡과 같은 단층 계곡 등, 가장 최근까지 지질학적 활동이 지속된 것으로 보이는 여러 흔적이 있다[45]. 화성의 붉은 색은 토양 내 산화 철 때문이다[46]. 또한 이 때문에 화성의 하늘은 분홍색을 띤다[47]. 화성은 조그만 자연 위성 둘을 거느리고 있다(데이모스, 포보스). 이들은 원래 소행성이었는데, 화성의 중력에 포획된 것으로 보인다[48]. 포보스는 약 3천만~5천만 년 안에 화성의 조석력으로 산산조각 나 버릴 것이다[49]. 화성은 지구와 비슷하여 생명의 존재에 대한 탐사가 계속되고 있으며, 바이킹, 마스 글로벌 서베이어, 마스 오디세이, 마스 패스파인더, 스피릿, 오퍼튜니티 등 많은 탐사선이 여러 가지 탐사를 진행하였다.
사진첩
메신저가 촬영한 수성. 색깔은 착색되어, 실제 색깔과 다르다.
매리너 10호가 촬영한 금성. 노란색은 모두 구름으로, 표면은 하나도 볼 수 없다.
아폴로 17호가 촬영한 지구. 일명 푸른 구슬.
허블 우주 망원경이 촬영한 화성. 산화철로 인해 붉게 타는 듯한 외형을 가지고 있다.
소행성대
소행성은 태양계의 소천체로, 대부분 암석과 금속과 같은 휘발성 없는 광물로 구성되어 있다[50].
주(主) 소행성대는 화성과 목성 궤도 사이에 형성되어 있으며, 그 거리는 태양으로부터 2.3 ~ 3.3 천문단위이다. 이들은 태양계 생성 초기 목성의 중력 때문에 서로 뭉치지 못하여, 행성이 되는 데 실패한 존재로 여겨진다[51].
소행성의 크기는 수백 킬로미터에서 현미경으로 보아야 할 정도의 크기까지 다양하다. 가장 거대한 1 세레스를 제외한 모든 소행성은 태양계 소천체로 분류되나, 4 베스타와 10 히기에이아 등은 유체정역학적 균형 상태에 있음이 증명될 경우 왜행성으로 재분류될 수 있다[52].
소행성대에는 지름 200미터 이상의 천체가 수개 혹은 수 개 있다[53]. 이렇게 숫자는 많지만, 소행성대 천체의 질량을 모두 합쳐도 지구의 1천 분의 1을 넘지 못한다[5]. 주 소행성대의 천체는 매우 산발적으로 흩어져 태양을 돌고 있어서, 우주 탐사선이 이 지역을 주기적으로 통과해도 충돌 사고는 발생하지 않는다. 지름이 10 ~ 10−4 미터 사이인 소행성을 유성체라고 부른다[54]. 가끔 이곳에서 태양으로 돌진하는 소행성이 있다.
세레스
세레스(태양에서의 거리 2.77AU)는 소행성대에서 가장 거대한 천체로, 왜행성으로 취급된다. 직경은 거의 1000km에 달해, 자체 중력만으로 형태를 구형으로 충분히 유지할 수 있다. 세레스는 19세기에 발견될 당시 ‘행성’으로 여겨지기도 했지만, 1850년대 들어 다른 소행성이 발견되면서 ‘소행성’으로 재분류되었다[55]. 그 뒤 2006년에는 ‘왜행성’으로 재분류되었다.
소행성군
주 소행성대에 있는 소행성은 공전 궤도의 특성에 따라 소행성군과 소행성족으로 분류된다. 소행성 위성은 자기보다 큰 소행성을 도는 소행성을 가리키는 말이다. 종 위성과 주인 소행성의 크기는 평범한 위성과 행성만큼 차이가 나지 않으며, 경우에 따라서는 종과 주인의 크기가 거의 같을 경우도 있다(이는 행성-위성의 관계보다는 쌍성계와 더 비슷하다). 소행성대에는 지구에 물을 공급한 원천일 가능성이 있는, 주띠 혜성이 있다[56].
트로이 소행성군은 목성의 L4 또는 L5 점(공전 궤도상에서 행성을 이끄는 동시에 끌려가는 양상이 중력적으로 안정을 이루는 지점)에 있다. ‘트로이’는 다른 행성 또는 위성의 라그랑주점에 있는 작은 천체를 가리킬 때도 사용한다. 힐다 족은 목성과 2:3 궤도 공명을 하는데, 이는 목성이 태양을 두 번 돌 때 힐다 족은 세 번 돈다는 뜻이다.
내행성 지대에도 떠돌이 소행성으로 불리는 천체가 많다. 이들의 궤도는 내행성의 궤도와 교차하고 있으며, 따라서 행성과 충돌할 가능성을 품고 있다.
외행성계
태양계의 바깥쪽 지대는 거대한 가스 행성과 행성급 덩치를 지닌 위성이 존재하는 곳이다. 센타우루스 족을 포함한 많은 단주기 혜성도 이 지역에 공전궤도를 형성하고 있다. 이들은 태양에서 매우 멀리 떨어져 있기 때문에, 물을 비롯한 암모니아, 메탄 등의 휘발성 물질이 천체에서 차지하는 비중이 지구형 행성에 비해 크다. 그 이유는 낮은 온도에서 이들 휘발성 물질은 고체 상태로 존재할 수 있기 때문이다.
목성형 행성
태양계의 바깥쪽을 도는 네 개의 거대한 행성은 보통 목성형 행성, 가스 행성, 외행성이라는 이름으로 불린다. 이들의 질량은 태양을 도는 8개 행성의 99퍼센트를 차지하며, 암석 행성에 비해 무거워 지구질량의 14 ~ 318배 정도이다. 그러나 밀도는 상대적으로 낮아 암석 행성의 20퍼센트 수준이다[19]. 목성과 토성은 대부분 수소와 헬륨으로 이루어져 있다 [57]. 이들 네 행성은 모두 고리를 갖고 있으나, 토성을 제외한 나머지는 지구에서 고리를 관측하기가 쉽지 않다.
목성
목성(태양에서의 거리 5.2AU)은 태양계의 8행성 중 가장 거대하고 무거운 천체로, 그 질량은 지구의 318배로 목성을 뺀 다른 행성을 다 합친 것보다 2.5배나 더 무겁다. 목성은 대부분 수소와 헬륨으로 이루어져 있다. 목성은 내부열이 강력하게 발생하고 있어, 표면에 자전 방향과 평행한 줄무늬 모양의 띠와 대적반과 같은, 반영구적인 대기 구조를 만든다. 목성은 많은 위성을 거느리고 있으며, 알려진 숫자만 63개이다. 그중 가장 질량이 큰 가니메데, 칼리스토, 이오, 유로파, 네 개는 내부열이나 화산 활동이 일어나는 등 암석 행성과 비슷한 면모를 보여준다[58]. 이 중 가니메데는 태양계 위성 중 부피와 질량이 가장 크며, 심지어 수성보다도 부피가 크다(다만 질량은 작다).
토성
토성(태양에서의 거리 9.5AU)은 질량, 조성 물질, 내부 구조, 자기권 등 모든 면에서 목성보다 조금씩 작은 가스 행성이다. 토성의 가장 큰 특징은 거대한 고리를 들 수 있다. 토성의 부피는 목성의 60퍼센트이지만, 질량은 3분의 1이 채 되지 않는다(지구질량의 95배). 따라서 토성의 밀도는 태양계 행성 중 가장 작다는 결론을 얻을 수 있다. 토성 역시 목성 다음으로 많은 위성을 거느리고 있다. 그중 타이탄과 엔켈라두스, 둘은 지질학적 활동을 하고 있는 것으로 보인다. 다만 지구와는 달리 이들 천체의 화산에서는 얼음 물질이 뿜어져 나온다[59]. 타이탄은 부피만 따질 경우 수성보다 크며, 태양계 위성 중 유일하게 짙은 대기에 둘러싸여 있다.
천왕성과 해왕성은 얼음 물질의 비중이 목성 및 토성보다 크다. 이들의 가스 성분은 질량의 약 10% 밖에 되지 않는다. 질량의 대부분은 얼음(메탄, 물 ,암모니아)이 주성분이다. 거대 얼음 행성이라고도 한다.
천왕성
천왕성(태양에서의 거리 19.2AU)은 외행성 중 가장 가벼운 가스 행성이다(지구의 14배). 천왕성의 자전축은 황도면에 대해 97.9도 기울어져 있어 태양을 마치 누운 상태로 도는 것처럼 보인다. 천왕성의 중심핵은 다른 가스 행성에 비해 훨씬 차가우며, 방출하는 열의 양도 매우 작다[60]. 천왕성은 여러 위성을 거느리고 있다. 이 중 티타니아, 오베론, 움브리엘, 아리엘, 미란다가 큰 위성이다. 이 다섯 개의 큰 위성은 모두 단층, 능선, 절벽, 산맥, 화구, 범람의 흔적 등 혼란한 지형으로 가득 차 있다. 특히 미란다의 표면은 실제라고 믿기 힘들 정도로 불연속적이다[61].
해왕성
해왕성(태양에서의 거리 30AU)은 천왕성보다 지름은 약간 작으나, 좀 더 무거운(지구의 17배) 가스 행성이다. 따라서 해왕성의 밀도는 천왕성보다 조금 더 크다. 해왕성은 천왕성보다 많은 내부열을 발산하나, 그 양은 목성이나 토성에 비하면 작다[62]. 해왕성 역시 13개의 위성이 주위를 돌고 있다. 그중 가장 거대한 트리톤은 액체 질소의 간헐천이 표면 곳곳에 있는 등 지질학적으로 살아있다[63]. 트리톤은 태양계 위성 중 유일하게 역방향으로 어머니 행성을 공전하는 거대 위성이다. 다수의 소행성이 해왕성과 같은 궤도를 돌고 있는데, 이들을 해왕성 트로이족이라고 부른다. 이들은 해왕성과 1:1로 궤도 공명을 한다.
사진첩
뉴 허라이즌스 호가 촬영한 목성
카시니 탐사선이 촬영한 토성
1986년 보이저 2호가 촬영한 천왕성
1989년 보이저 2호가 촬영한 해왕성
혜성
혜성은 수 킬로미터 정도 크기의 휘발성 얼음 혼합물로 이루어진 태양계 천체이다. 혜성의 궤도는 매우 이심률이 큰데, 태양에 가장 가까워질 때는 내행성 궤도까지 들어왔다가 멀어질 경우 명왕성 바깥까지 물러나는 경우가 많다. 혜성 중에는 궤도경사각 값이 큰 개체가 많은데, 그중 공전 주기가 백 년이 되지 않는 단주기 혜성의 경사각은 중간 정도이다[19]. 혜성이 내행성 궤도에 진입하면, 태양에 가까워지면서 일사량이 증가하기 때문에 얼음 상태로 존재하던 휘발성 물질이 증발하여 이온화, ‘코마’라는 이름의 꼬리처럼 생긴 구조를 형성한다. 코마는 맨눈으로도 볼 수 있는데, 이는 고대부터 인류가 혜성을 묘사할 때 사용된 강렬한 특징이었다.
단주기 혜성은 태양을 1회 도는 데 2백 년이 걸리지 않는다. 반면 장주기 혜성은 1회 공전에 걸리는 시간이 보통 수천 년은 된다. 단주기 혜성은 카이퍼 대에서 태어나며[64], 헤일-밥 혜성과 같은 장주기 혜성은 오르트 구름에서 태어난다고 여겨진다. 크로이츠 선그레이저스와 같은 혜성군(群)은, 하나의 덩어리였던 천체가 쪼개져 생겨난 것으로 보인다[65]. 공전궤도가 타원형인 일부 혜성은 태양계 바깥에서 태어나 태양계를 찾아온 경우도 있는데, 이들의 정확한 궤도를 알아내기는 쉽지 않다[66]. 태양 주위를 많이 돌면서 휘발성 물질이 거의 다 증발한 늙은 혜성은 종종 소행성으로 분류되기도 한다[67].
센타우루스족
센타우루스족은 궤도 장반경이 목성(5.5 AU)보다 크고 해왕성(30 AU)보다 작은, 혜성 비슷한, 얼음으로 이루어진 천체이다. 지금까지 알려진 가장 거대한 센타우루스족 10199 카리클로의 지름은 약 250킬로미터이다[68]. 최초로 발견된 센타우루스족 2060 키론은 혜성으로도 분류되어 왔는데(“95P/키론”이라는 명칭이 추가되었다), 이는 2060 키론이 여타 혜성과 마찬가지로 태양에 접근하면서 코마가 커지기 때문이다[69].
해왕성 궤도의 바깥쪽
해왕성 궤도 너머에 있는 해왕성 바깥 천체는 여전히 미지의 세계이다. 이 천체는 대부분 매우 작으며(가장 큰 것이 지구 직경의 5분의 1이고, 질량은 달보다도 작다), 암석과 얼음으로 이루어져 있다. 혹자는 이 구역을 “외태양계”(Outer Solar System)라고도 하는데, 또 다른 사람들은 이 용어를 소행성대 너머의 구역(외행성계)을 가리킬 때 사용해, 혼동이 있다.
카이퍼 대
카이퍼 대는 소행성대와 비슷한, 파편 조각으로 이루어진 거대한 고리로, 주요 구성 물질이 얼음이라는 점이 소행성대와 다르다. 카이퍼 대는 태양으로부터 30 ~ 50 천문단위 지역에 형성되어 있다. 카이퍼 대의 천체는 대부분 태양계 소천체이나, 50000 콰오아, 20000 바루나, 90482 오르쿠스 등 덩치가 큰 천체는 왜행성으로 재분류될 가능성이 있다. 지름 50킬로미터 이상의 카이퍼 대 천체는 대략 10만 개 이상일 것으로 여겨지나, 이들의 질량은 모두 합쳐 보았자 지구 질량의 1,000분의 1 ~ 100분의 1에 불과하다[4]. 적지 않은 카이퍼 대 천체는 자신만의 위성을 여럿 거느리고 있다. 카이퍼 대 천체 대부분은 행성의 공전궤도면과 어긋난 궤도를 그리면서 태양을 돌고 있다.
명왕성과 카론
명왕성(태양에서의 평균 거리 39AU)은 왜행성이며, 카이퍼 대 안에서 가장 거대한 천체로 알려져 있다. 1930년 발견되었을 때는 9번째 행성으로 간주되었으나, 2006년 새로운 행성의 정의가 발표된 뒤 자격 요건을 만족하지 못해 행성에서 탈락했다. 명왕성의 궤도는 다른 행성에 비해 이심률이 크며, 황도면에 대해 17도 기울어져 있다. 태양으로부터의 평균 거리는 39 천문단위이나, 가까울 때는 29.7, 멀어질 때는 49.5 천문단위로 그 격차가 크다.
명왕성의 가장 거대한 위성 카론이 앞으로도 그 자체만으로 왜행성으로 분류될 수 있을지는 확실하지 않다. 명왕성과 카론의 질량 중심은 어느 한쪽의 내부에 있는 것이 아닌, 두 천체 중간의 우주 공간에 형성되어 있어 종과 주인의 관계라기보다는 차라리 쌍성계와 비슷하다. 이들보다 훨씬 더 작은 닉스와 히드라는 명왕성-카론을 돌고 있다.
명왕성은 공명 해왕성 바깥 천체 궤도에 놓여 있으며, 해왕성과 3:2의 궤도 공명을 보인다. 이는 해왕성이 태양을 3번 돌 때 명왕성은 2번 돈다는 뜻이다. 이 궤도 공명비를 보이는 카이퍼 대 천체를 플루토이드로 부른다[70].
하우메아와 마케마케
하우메아(태양에서의 평균 거리 43.34AU)와 마케마케(평균 거리 45.79AU)는 고전적 카이퍼 대 내에서 가장 덩치가 큰 천체이다. 하우메아는 달걀 모양으로 생겼으며, 위성 둘을 거느리고 있다. 마케마케는 명왕성 다음으로 카이퍼 대 천체 중 밝다. 둘의 이름은 원래 2003 EL61과 2005 FY9였으나, 2008년 왜행성으로 분류되면서 애칭을 얻었다[13]. 이들의 궤도경사각(각각 28°, 29°)은 명왕성보다 더 크게 기울어져 있으며,[71] 명왕성과는 달리 해왕성의 중력에 구속되어 있지 않아 고전적 개념의 카이퍼 대 천체에 속한다고 볼 수 있다.
사진첩
뉴 허라이즌스가 촬영한 명왕성
하우메아와 그 두 위성의 상상도
마케마케의 상상도
콰오아의 상상도
산란 분포대
산란 분포대는 카이퍼 대와 겹치나 훨씬 더 멀리 퍼져 있다. 이 지역은 단주기 혜성의 고향인 것으로 여겨진다. 산란 분포대 천체는 태양계 초기 역사 때 해왕성이 현재 위치로 물러나면서 중력적인 영향을 받아 지금의 혼란스러운 궤도를 형성하게 된 것으로 보인다. 대부분의 산란 분포대 천체(SDO)는 태양과 가장 가까울 때는 카이퍼 대와 비슷한 곳을 도나, 멀어질 때는 150 천문단위까지 물러난다. 산란 분포대 천체의 궤도는 황도면에 대해 크게 기울어져 있으며, 심지어 거의 수직에 가까운 부류도 있다. 일부 천문학자는 이 산란 분포대가 단지 카이퍼 대의 다른 영역에 지나지 않는다고 간주하기도 하며, 이런 취지에서 산란 분포대 천체를 ‘산란 카이퍼 대 천체’로 부른다[72]. 일부는 센타우루스 족을 산란 분포대의 바깥쪽 천체와 구별하여 ‘안쪽 산란 카이퍼 대 천체’로 부르기도 한다[73].
에리스
에리스(태양에서의 평균 거리 68AU)는 산란 분포대 천체 중 가장 질량이 큰 존재이며, 지름은 2,400 킬로미터로 명왕성보다 최소 5퍼센트 더 덩치가 커서, 행성의 개념에 대해 논란을 불러 온 장본인이기도 하다. 지금까지 발견된 왜행성 중 가장 지름이 큰 천체이다[74]. 디스노미아를 위성으로 거느리고 있다. 명왕성처럼 에리스의 궤도도 이심률이 크기 때문에 태양에 가까워질 때는 38.2 천문단위(대략 명왕성이 태양으로부터 떨어진 평균 거리와 비슷함), 멀어질 때는 97.6 천문단위까지 물러난다. 에리스의 궤도는 황도면에 대해 크게 기울어져 있다.
태양계 외곽
태양계가 끝나고 성간 공간이 시작되는 경계선이 어디인지는 명확하게 정의되지 않았는데, 그 이유는 태양계의 경계면을 두 가지 다른 힘인 태양풍과 태양 중력이 형성하고 있기 때문이다. 태양풍의 영향이 미치는 곳은 대략 태양-명왕성 간 거리의 네 배 되는 곳으로, 이 태양권 계면을 성간매질이 시작되는 곳으로 추측하고 있다[28]. 그러나 태양의 힐 구(태양의 중력이 미치는 범위)는 이보다 천 배는 더 먼 곳까지 이르는 것으로 여겨진다.
태양권 계면
태양권 계면은 두 개의 별개 영역으로 나뉜다. 태양풍은 초속 400킬로미터 정도 속도로 우주를 여행하다가 성간매질 영역에서 플라스마의 흐름과 충돌한다. 이 충돌은 말단충격에서 일어나는데, 말단 충격은 태양풍이 부는 방향으로 태양으로부터 80 ~ 100 천문단위, 반대 방향으로는 태양으로부터 200 천문단위 정도 거리에 위치해 있다.[75] 이곳에서 태양풍은 급격하게 느려지며, 응축되고 요동쳐서[75] ‘헬리오시스’로 알려진, 마치 혜성의 꼬리와 비슷하게 생긴 거대한 타원형 구조를 형성한다. 헬리오시스는 태양풍이 부는 쪽으로는 40 천문단위 범위에 걸쳐 뻗어 있고, 반대쪽으로는 그 몇 배 길이로 형성되어 있다. [76][77] 태양권의 바깥 경계인 태양권 계면은 태양풍이 더 이상 불지 않고 성간(星間) 공간이 시작되는 경계이다.[28]
태양권 바깥 경계의 모양은 유체동역학에 따른 성간매질과 태양풍의 상호 작용 결과로 보이는데,[75] 이는 태양의 자기장이 북반구 쪽이 남반구보다 9 천문단위 더 멀리 뻗어 있는 모양과 비슷하다. 태양권 너머 약 230 천문단위 부근에는 태양풍이 항성 간 공간에서 성간매질과 부딪치면서 발생하는 뱃머리 충격파 구조가 있다.[78]
태양권이 태양계를 우주선으로부터 얼마나 잘 보호하는지에 대해서는 제대로 알려져 있지 않다. 미국 항공우주국으로부터 연구자금을 지원받은 한 팀이 ‘비전 미션’이라는 이름의, 태양권 너머로 탐사선을 보내는 계획을 추진해 오고 있다.[79][80]
오르트 구름
오르트 구름은 무수한 얼음 천체로 이루어진 이론적인 구역으로 구형의 구름과 같은 형상이다. 이 오르트 구름은 장주기 혜성의 원천으로 추측되며, 태양에서 거의 5만AU(대략 1광년(ly)이 조금 못 됨) 거리까지 둘러싸고 있으며, 멀게는 10만AU(1.87ly)까지 퍼져 있다. 이 구역은 목성형 행성의 중력적 상호작용으로 말미암아 태양계 안쪽에서 튕겨져 나간 혜성으로 구성되어 있는 것 같다. 오르트 구름의 천체는 매우 천천히 움직이며, 때에 따라서는 지나가는 다른 항성의 충돌이나 중력 작용, 우리 은하의 은하계 조력 등의 드문 현상으로 말미암은 섭동이 일어나기도 한다[81][82].
세드나
섬네일|left|세드나의 망원 이미지.
세드나(태양에서의 평균거리[주 4] 525.86 AU)는 거대하고 불그스름한, 명왕성과 비슷한 천체로, 괴상하게 길쭉한 타원형의 궤도를 가지고 있다. 궤도가 너무 길어서 근일점에 도달했을 때의 거리가 76AU인데 반해 원일점에서는 928AU에 달하고, 궤도를 한 바퀴 다 도는 데에는 1만2050년이 걸린다. 2003년에 이 천체를 발견한 마이클 브라운은 세드나가 해왕성의 영향을 받기에는 근일점이 너무 멀기 때문에 산란 분포대나 카이퍼 대에 속할 수 없다고 주장했다. 브라운과 다른 천문학자들은 세드나가 근일점이 45AU이고 원일점이 415AU, 공전 주기가 3420년인 (148209) 2000 CR105와 함께 새로운 집단에 포함된다고 간주한다[83]. 브라운은 이 새로운 집단을 ‘안쪽 오르트 구름’이라고 이름지었다[84]. 세드나는 그 생김새가 확실히 밝혀져야 할 필요가 있긴 하지만, 왜행성으로 추측되고 있다.
태양계의 끝
우리 태양계 대부분의 영역은 아직 미지의 세계이다. 태양의 중력장은 약 2광년(12만 5천 천문단위) 범위에 걸쳐 근처의 별들의 중력장을 압도한다. 반대로 오르트 구름의 반지름을 낮게 잡는 학설에 따르면, 태양계의 범위는 5만 천문단위를 넘지 않는다[85]. 세드나 같은 천체의 발견에도 불구하고 카이퍼 대와 오르트 구름 사이에 펼쳐진 수천 ~ 수만 천문단위의 광활한 영역은 아직도 전혀 알려져 있지 않다. 외부 영역 외에도, 그동안 자세히 알려지지 않았던 태양과 수성 사이 공간에 대한 연구가 현재 진행 중이다[86]. 이렇게 알려지지 않은 지대에서 새로운 천체가 발견될 가능성이 있다.
은하적 맥락
우리 은하계는 약 2천억 개의 별이 모여 있으며, 폭이 약 10만 광년인 막대 나선 은하인 우리 은하 내에 자리 잡고 있다.[87] 우리 태양은 오리온 팔로 불리는, 은하 바깥쪽 나선팔 내에 있다.[88] 태양은 은하핵으로부터 25,000 ~ 28,000 광년 거리만큼 떨어진 곳에 놓여 있으며, 초당 220킬로미터 속도로 공전하고 있다. 이 속도에 따르면, 태양이 은하 중심핵을 1회 도는 데에는 2억 2,500만 ~ 2억 5,000만 년이 걸린다. 이처럼 은하 중심을 1회 도는 시간을 ‘태양계의 은하년’이라고 한다.[89] 태양향점(태양이 성간 우주를 거쳐 나아가고 있는 방향)은 허큘리스자리 근처로, 밝은 별 베가의 현재 위치 방향이다.[90]
은하 내 태양계의 위치는 지구에서 생명체가 태어나 진화하는 데 중요한 요인이 되었을 것이다. 은하핵을 중심으로 하는 태양계의 궤도 모양은 원에 가까우며, 나선팔과 비슷한 속도로 중심부를 돌고 있다. 이는 태양계가 위험스러운 초신성 폭발이 잦은 나선팔을 잘 통과하지 않는다는 의미로, 지구는 오랜 시간 동안 생명체의 진화가 안정적으로 이루어질 시간을 확보할 수 있었다.[91] 또한 태양계는 항성이 우글거리는 은하 중심부로부터 넉넉히 떨어져 있다. 은하 중심부는 근처 항성이 중력적으로 서로를 당기기 쉽기 때문에, 오르트 구름과 같은 작은 천체의 궤도를 흔들어, 그들이 내행성을 향해 낙하하여, 지구 생명체의 전멸을 가져올 수 있는 파멸적인 충돌 사건을 일으킬 확률을 높일 것이다. 또한 은하 중심부에서 나오는 강렬한 복사 에너지는 복잡한 형태의 생명체가 진화하는 데 걸림돌로 작용할 것이다.[91] 심지어 일부 과학자는 지구의 현재 위치는 안전한 곳이 아니며, 태양계 근처에서 그리 오래 되지 않은 과거에 초신성이 폭발하여 방사능이 함유된 먼지 입자와 그보다 좀 더 큰 혜성 비슷한 물질이 지구를 향해 분출되었고, 이 물질은 지난 3만 5천 년 동안 지구 생명체에 부정적인 영향을 가져왔다는 가설을 주장하기도 한다.[92]
이웃 항성계
우리 태양계와 바로 닿아 있는 이웃을 국부 성간 구름으로 부르고 있다. 이곳은 국부 거품으로 알려진, 짙거나 또는 성긴 성간 구름이 펼쳐진 영역이다. 국부 성간 구름의 폭은 약 300광년이며, 허리가 잘록한 모래시계처럼 생겼다. 거품은 그리 오래 되지 않은 과거 초신성 여러 개가 폭발했었다는 증거가 되는, 높은 온도의 플라스마로 가득 차 있다.[93]
태양으로부터 10광년 이내 범위에는 이웃 별이 몇 개 없다. 가장 가까운 이웃 별은 센타우루스자리 프록시마로 태양으로부터 4.2광년 떨어져 있으며, 중력으로 프록시마와 연결되어 있으리라고 추측되는 센타우루스자리 알파 A, B 항성계가 4.4광년 거리에 있다(이런 이유로 프록시마를 센타우루스자리 알파 C로 부르기도 한다). A와 B는 가까이 연결되어 있는 쌍성으로 태양과 비슷하며, 프록시마는 적색왜성으로 매우 어둡다. 그 다음으로 태양과 가까운 항성은 적색왜성 바너드 별(5.9광년), 울프 359(7.8광년), 랄랑드 21185(8.3광년)이다. 10광년 이내에서 가장 밝고 무거운 이웃 별은 8.6광년 떨어진 시리우스로, 질량이 태양의 2배 가까운 주성 A와 짝별 백색왜성 B 두 개로 구성되어 있다. 10광년 내 나머지 별로는 적색왜성 쌍성으로 구성된 루이텐 726-8(8.7광년), 홀로 있는 적색왜성 로스 154(9.7광년)가 있다.[94] 태양처럼 홀로 있으면서 비슷한 G형 주계열성 중 가장 가까운 별은 고래자리 타우로 11.9광년 떨어져 있다. 이 별의 질량은 태양의 80퍼센트이며, 밝기는 60퍼센트 정도이다.[95] 태양으로부터 가장 가까운 외계 행성은 태양보다 어둡고 가벼운 K형 항성 에리다누스자리 엡실론을 돌고 있으며 10.5광년 떨어져 있다. 엡실론 주위에는 한 개의 행성 에리다누스자리 엡실론 b의 존재가 확인되어 있는데, b의 질량은 목성의 1.5배에 어머니 항성을 6.9년에 한 바퀴 돈다.[96]
외계 행성계
우리 태양계와 마찬가지로 다른 항성 주위에도 행성계가 형성되어 있다. 이들 행성계를 구성하는 외계행성(外系行星, 태양계 밖에 존재하는 행성)은 1990년대부터 발견되기 시작하여, 2013년 4월 기준으로 880개가 넘는 행성이 발견되어 있다. 지금까지 발견된 대부분의 외계 행성은 목성과 비슷하거나 그 이상의 질량을 지니고 있다. 게자리 55는 최소 5개의 행성을 거느리고 있으며, 이외에도 많은 항성이 2개 이상의 행성을 거느리고 있다. 지구형 행성은 질량이 작기 때문에 발견된 사례가 드물지만, 관측 기술이 정교해지면서 지속적으로 발견될 것으로 여겨진다.
태양계 기원설
초기 이론
성운설
데카르트와 칸트, 라플라스(1796년)의 이론과 관찰에 바탕을 둔 과학적 첫 이론이 제시되었다. 이 이론에 따르면, 느리게 회전하는 가스와 먼지의 구름덩어리가 냉각되고 중력으로 말미암아 수축하였고, 수축함에 따라 이는 더 빠르게 회전하게 되었고, 회전축을 따라 평평해졌다. 이는 결국 질량중심 주변을 자유궤도로 도는 적도 물질로 구성된 렌즈형의 모양이 된다. 그 후 물질들은 여러 고리에 응집된다. 응집된 덩어리들은 각각 조금씩 다른 비율로 궤도를 돌면서 각각의 고리에서 초기 행성을 형성하게 된다. 초기 행성의 수축에 기초를 둔 축소판 과정을 통해 위성이 형성되며, 최초의 먼지와 가스 덩어리의 중심 덩어리가 수축하여 태양이 형성된다.
행성과 태양이 하나의 과정에서 함께 형성되는, 이 일원론적인 이론은 치명적인 결점이 있다. 이 이론은 태양계의 대부분의 각운동량이 태양 안에 있다고 제안하고 있다. 그러나 실제로 그렇지 않다. 태양계 질량의 99.86%의 질량을 가진 태양은 태양계 형성 시의 각운동량의 오직 0.5%만을 가진다. 그 외 나머지 각운동량은 행성의 궤도에 포함된다. 이로 인해 19세기의 모든 이론은 성공적이지 못했다. 비록 과학적 원리에 바탕을 한 이론일지라도 관찰된 내용과 일치하지 않았고, 결국 폐기되어야 했다.
조우설
성운설 이후 제임스 진스(1917년)가 태양과 행성이 다른 과정을 통해 형성되었다는 이원론을 제시하였다. 이에 따르면, 태양을 지나쳐간 한 무거운 항성이 태양으로부터 주기적으로 변동하는 가는 실을 뽑아내게 된다. 중력적으로 불안정한 필라멘트는 부서져 각각의 압축물이 초기 행성을 형성한다. 이 초기 행성은 태양 주변을 지나쳐 멀어져가는 항성에 의해 끌어당겨져, 태양을 중심으로 한 궤도에 남게 된다. 최초의 근일점을 지날 때에 위의 축소판 과정이 일어나 초기 위성을 형성하게 된다.
이 이론은 처음에 좋은 평가를 받았으나, 곧 문제가 발견되었다. 해럴드 제프리(1929년)는 순환의 개념에 대한 수학적인 논의에 근거해서, 태양과 비슷한 실질 밀도를 가진 목성의 경우 비슷한 회전 주기를 가져야 한다고 주장했다. 또한 헨리 노리스 러셀(1935년)은 태양으로부터 빠져나온 물질이 태양 반지름의 4배 거리(=수성 궤도 안) 이상 가지 못한다는 것을 증명해 냈다. 이것은 각운동량에 관한 또 다른 문제였다. 그 뒤 라이먼 스피처(1939년)는 태양에서 나온 물질이 목성의 질량을 가지게 된다면, 이는 106K의 온도를 가지게 되며, 이 경우 행성으로 수축하기보다는 폭발한다는 것을 계산해 냈다. 이후 태양의 핵반응으로 즉각 소모되었을 리튬과 베릴륨, 붕소가 지구의 지각에서 발견된다는 것과 관련한 반대 주장이 등장하였다. 항성과 항성 사이 공간은 매우 넓기 때문에 원시 태양과 다른 별이 만날 확률이 극히 희박하다는 것도 문제점 중 하나이다.[97]
라플라스와 진스의 이론은 과학에 바탕을 두고 있지만, 결국 과학적 비판에 굴복되었다. 비록 다른 종류이기는 하지만, 두 이론 모두 각운동량 문제를 가지고 있었다. 그럼에도 불구하고 두 이론이 제시한 새로운 생각은 현대 이론의 기반이 된다.
현대 이론
부가 이론
1944년에, 소련 유성기어장치 과학자 오토 슈미트와 유리 등은 새로운 종류의 이원적인 이론을 제안하였다. 그는 망원경을 통한 관찰 결과를 바탕으로 저온 고밀도의 구름덩어리가 은하에서 형성된다고 주장했다. 이때, 포획된 물질은 처음에는 태양 주위를 타원 궤도를 그리며 회전하다가 차츰 원 궤도로 전환되었다는 것이다. 그 결과, 입자 간의 충돌의 횟수가 증가하게 되면서 입자의 크기도 커지고 서로의 인력도 커지게 되어 점점 크게 성장했다는 것이다.
또한 그는 원시 태양이 이 구름덩어리를 지나가면서 이 먼지-가스 덩어리를 포획한다고 주장하였다. 슈미트는 에너지를 고려할 때에, 두 개의 고립된 천체가 있으면, 한 천체의 구성 물질은 다른 천체에게 포획되지 않는다고 믿었으며, 또한 일부 에너지를 제거하기 위해서 3번째 천체, 즉 다른 별을 도입했다. 세 번째 천체의 필요로 말미암아 이 이론은 다소 타당성을 잃었지만, 슈미트의 주장은 구름덩어리가 광범위한 지역에 있었고, ‘구름덩어리+별’이 다체형 시스템(Many-body system)처럼 행동한다는 것에서부터 타당성을 가지지 못했던 것이다.
솜뭉치/초기 행성 이론
1960년에, 윌리엄 맥크레아(William McCrea)는 행성의 형성이 성단의 형성과 연결된다는, 또한 태양의 느린 회전을 설명할 수 있는 이론을 제안한다. 맥크레아의 이론은 거대한 집단을 형성하는 가스와 먼지의 구름덩어리에서 시작된다. 이 이론에 따르면, 난류로 말미암아 가스의 흐름끼리 충돌이 생기면, 평균 이상의 밀도 지역을 형성하게 되는데, 솜뭉치로 지시된 이 고밀도 지역은 구름덩어리를 통과해 움직이면서 충돌할 때마다 합쳐진다. 그 뒤 거대한 집합체가 형성되면, 이는 다른 솜뭉치를 끌어들여서 초기 항성을 형성하게 된다. 무작위로 어느 방향에서나 초기 항성으로 솜뭉치가 합쳐져 들어가면서, 초기 항성의 최종 각운동량은 작아지게 된다.
이 이론의 기본 전제조건에서는, 각 솜뭉치는 지구의 약 3배의 질량을 가지고 있었다. 그래서 목성과 같은 거대한 행성을 형성하기 위해서는 많은 수의 솜뭉치가 결합해야 했었다. 행성을 형성 할 이 집합체는 현재의 행성의 각운동량보다 훨씬 큰 각운동량을 가지고 있었다. 맥크레아는 이 명백한 한계점을 오히려 강점으로 변화시켰다. 초기 행성이 수축하면서 이는 회전적으로 불안정해졌을 것이며, 이 상태에서 초기 행성은 아마도 질량비 8:1의 두 개의 부분으로 갈라졌을 것이다. 질량중심과 관련하여 더 빨리 움직이는, 상대적으로 작은 부분이 대부분의 각운동량을 가지고 태양계로부터 탈출했을 것이다. 분리된 두 부분의 연결부에서 작은 응축 덩어리가 형성되고, 이것이 큰 부분에 의해 위성 중 하나로 남게(유지) 되었을 것이다. 맥크레아는 지구형 행성을 설명하기 위해서, 위와 같은 분열 과정이 초기 행성의 고밀도 핵에서 일어났다고 가정해야 했다. 그래서 태양계 안쪽 부분에서는 큰 탈출 속도를 가진, 두 부분 모두 태양계 안에 남아서 지구-화성 쌍과 금성-수성 쌍을 형성했다고 주장한다.
이 이론은 몇몇 매개변수를 현재의 태양의 수치에서 가져왔고, 다른 매개변수는 태양-행성-위성 시스템을 이 이론이 가장 잘 설명할 수 있게끔 선택한 값이었다. 그럼에도 불구하고 이 이론은 심각한 문제점을 가지고 있다. 솜뭉치 모양의 먼지-가스 덩어리는 불안정하며, 솜뭉치의 충돌과 다음 충돌 사이의 시간보다 짧은 수명을 가지고 있었다. 따라서 솜뭉치의 충돌과 행성의 형성이 이 이론대로 진행되지 않는다는 것이다.
현대 성운설
최근 가장 이상적으로 평가받고 있는 태양계 기원설로서, 라플라스의 이론에 근간을 두고 있는 이론이다. 그 시작은 가스와 먼지로 된 불균질한 성운이다.
현대 성운설에 따르면, 태초의 이 성운은 난류 현상으로 자전 운동을 하게 되고, 각운동량을 가지게 된다. 각운동량은 그 값이 물체의 질량과 그것의 분포도, 회전 속도에 따라 달라진다. 따라서 물체의 질량이 중심에서 멀리 떨어져 분포하거나 회전 속도가 빠른 경우에 그 값이 커진다. 만약에 회전하는 물체의 크기가 작아지면, 분포도가 감소하여 각운동량의 값도 감소할 수밖에 없지만, 동일한 각운동량의 값을 보존하기 위해서 물체는 더 빨리 돌게 된다.[98]
성운은 자체의 인력으로 말미암아 수축하게 되고, 이러한 수축이 진행되면, 성운은 자전 때문에 타원형을 이루면서 각운동량을 보존하기 위하여 자전 속도가 빨라지게 된다. 그 결과 성운 중심부의 밀도는 급속히 증가되어 질량이 큰 덩어리가 형성되는데, 이것이 원시 태양이다. 원시 태양은 중력 수축을 함으로써 막대한 열을 방출하게 된다. 동시에 수축한 성운은 밀도가 증가함에 따라 수많은 먼지입자와 얼음조각, 이산화탄소, 암모니아, 메탄 등과 함께 섞여서 큰 입자를 형성하게 되고, 이들 입자가 수십 억 개 모여서 소행성 크기의 미행성이 형성된다. 미행성은 서로의 강한 중력으로 끌어당겨져 충돌함으로써 급격히 성장하게 된다. 이 과정을 통해 원시 행성이 형성된다.
물론 현대 성운설이 가장 이상적이고 합리적인 이론이라 평가는 받고 있지만, 이 역시 한계를 드러내는 점이 있다. 우선, 최초의 성운에서 난류 현상이 강하게 일어남으로써 자전 운동이 일어나게 되지만, 이러한 난류가 강하게 일어날 경우, 입자가 모여들어 거대한 미행성을 형성하기 어렵다는 것이다. 그밖에도, 성운의 가스 덩어리의 소실 과정, 행성의 위치, 혜성과 소행성 등에 대한 명확한 해결이 이루어지지 못한다.
태양계의 탄생과 진화
태양계의 과거
여러 가지 태양계의 기원설이 제기되어 왔으며, 그중 앞의 현대 성운설에 따르면, 우리 태양계는 46억 년 전 거대한 분자운이 중력적으로 붕괴하면서 태어났다고 한다. 이 분자운의 폭은 수 광년 정도였으며, 아마 태양 외에도 같이 태어난 형제 별이 여럿 있었을 것이다.[99]
훗날 태양계 부분이 될 태양 성운 지역이[100] 붕괴되면서 각운동량 보존 법칙에 따라 물질이 뭉치는 부분은 점점 빠르게 회전하기 시작했다. 대부분의 질량이 모인 중심부 부분은 주변 원반 지대보다 훨씬 더 뜨거워지기 시작했다.[99] 수축하는 성운이 회전하면서, 성운을 구성하는 물질은 약 200 천문단위 지름에 이르는 크기의 원시 행성계 원반으로 납작하게 공전면에 몰렸고,[99] 뜨겁고 밀도 높은 원시별이 원반 중심에 자리 잡았다.[101][102] 이 항성 진화 단계에서 태양은 황소자리 T형 항성의 상태에 이르렀으리라 여겨진다. 최근 여러 황소자리 T 항성을 연구한 결과 이들 주위에는 태양질량의 0.001~0.1배에 이르는 양의 물질이 원반 형태로 둘려 있으며, 물질 질량의 절대 다수는 중심부 항성에 집중되어 있음을 알게 되었다.[103] 행성은 이 원반의 물질이 뭉쳐서 태어났다.[104]
5천만 년 후 항성 중심부의 수소 밀도가 막대해져서 핵융합을 할 수 있을 수준이 되었다.[105] 항성의 표면 온도, 반응 속도, 압력, 밀도는 태양이 유체 정역학적 균형 상태에 이를 때까지 계속 상승했다. 균형을 찾는 시점에서 태양은 성장이 막 끝난 젊은 주계열성이 된다.[106]
태양계의 미래
우리가 알고 있는 태양계는 태양이 색등급도 위 주계열 띠를 떠나기 직전까지는 지금과 별 다를 바 없이 유지될 것이다. 그러나 태양이 죽음을 향해 진화하기 시작하면서 이 안정 상태는 깨진다. 태양이 중심핵에 있던 수소를 모두 핵융합 연료로 써 버리면, 중심핵을 지탱하는 에너지 산출량은 줄어들어 중심핵이 스스로 붕괴하게 만든다. 붕괴하면서 증가하는 압력은 중심핵을 뜨겁게 하여 연료는 더욱 빠르게 탄다. 이 결과 태양은 11억 년마다 10퍼센트 정도씩 밝아진다.[107]
지금으로부터 약 54억 년 뒤 태양의 핵에 있던 수소는 완전히 헬륨으로 바뀌며, 주계열성으로서의 태양의 일생은 끝난다. 이 시점에서 태양의 반지름은 지금의 260배까지 부풀어 올라 적색 거성 단계에 돌입한다. 표면적이 막대하게 늘어나기 때문에 표면 온도는 크게 낮아져 2,600 켈빈 수준까지 내려가 붉게 보이게 된다.[108]
이후 태양의 외곽층은 우주로 떨어져 나가고 중심부에 극도로 빽빽하게 압축된 백색왜성만이 남는다. 이 천체 부피는 지구와 거의 비슷하지만, 질량은 태양의 절반이나 될 것이다.[109] 떨어져 나간 외곽층은 우리가 행성상성운이라고 부르는 구조를 형성할 것이며, 태양을 구성하고 있었던 물질 중 일부를 우주 공간으로 되돌려 놓을 것이다.
같이 보기
천문 기호
셀레스티아: 3D 우주 시뮬레이션 프로그램
가족 사진 (보이저 1호)
반지름순 태양계 천체 목록
질량순 태양계 천체 목록
뉴 허라이즌스
파이어니어 10호
파이어니어 11호
보이저 계획
주해
각주
외부 링크
,
의
분류:행성계
분류:행성과학
분류:우주과학
| https://ko.wikipedia.org/wiki/%ED%83%9C%EC%96%91%EA%B3%84 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
700,
1101,
1555,
1859,
2727,
3894,
4286,
4675,
5124,
5353,
5836,
6118,
6433,
6691,
6941,
7943,
8809,
9401,
10163,
10547,
11158,
11774,
12190,
12832,
13144,
13575,
13984,
14589
],
"plaintext_end_byte": [
691,
1100,
1554,
1858,
2709,
3829,
4261,
4650,
5099,
5328,
5835,
6117,
6432,
6690,
6929,
7930,
8795,
9388,
10151,
10546,
11157,
11725,
12129,
12810,
13121,
13574,
13983,
14544,
14742
]
} | Kapan handphone pertama diciptakan ? | Telepon genggam | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
797
],
"minimal_answers_end_byte": [
810
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Telepon genggam atau telepon seluler (disingkat ponsel) atau handphone (disingkat HP) adalah perangkat telekomunikasi elektronik yang mempunyai kemampuan dasar yang sama dengan telepon konvensional saluran tetap, namun dapat dibawa ke mana-mana (English: portable atau mobile) dan tidak perlu disambungkan dengan jaringan telepon menggunakan kabel (jadi komunikasi nirkabel, English: wireless communication). Saat ini, Indonesia mempunyai dua jaringan telepon nirkabel yaitu sistem GSM (Global System for Mobile Telecommunications) dan sistem CDMA (Code Division Multiple Access). Badan yang mengatur telekomunikasi seluler Indonesia adalah Asosiasi Telekomunikasi Seluler Indonesia (ATSI).
Sejarah
Penemu telepon genggam yang pertama adalah Martin Cooper, seorang karyawan Motorola pada tanggal 03 April 1973, walaupun banyak disebut-sebut penemu telepon genggam adalah sebuah tim dari salah satu divisi Motorola (divisi tempat Cooper bekerja) dengan model pertama adalah DynaTAC. Ide yang dicetuskan oleh Cooper adalah sebuah alat komunikasi yang kecil dan mudah dibawa bepergian secara fleksibel.
Cooper bersama timnya menghadapi tantangan bagaimana memasukkan semua material elektronik ke dalam alat yang berukuran kecil tersebut untuk pertama kalinya. Namun akhirnya sebuah telepon genggam pertama berhasil diselesaikan dengan total bobot seberat dua kilogram. Untuk memproduksinya, Motorola membutuhkan biaya setara dengan US$1 juta. “Pada tahun 1983, telepon genggam portabel berharga US$4 ribu (Rp36 juta) setara dengan US$10 ribu (Rp90 juta).
Setelah berhasil memproduksi telepon genggam, tantangan terbesar berikutnya adalah mengadaptasi infrastruktur untuk mendukung sistem komunikasi telepon genggam tersebut dengan menciptakan sistem jaringan yang hanya membutuhkan 3MHz spektrum, setara dengan lima channel TV yang tersalur ke seluruh dunia.
Tokoh lain yang diketahui sangat berjasa dalam dunia komunikasi seluler adalah Amos Joel Jr yang lahir di Philadelphia, 12 Maret 1918, ia memang diakui dunia sebagai pakar dalam bidang switching. Ia mendapat ijazah bachelor (1940) dan master (1942) dalam teknik elektronik dari MIT. Tidak lama setelah studi, ia memulai kariernya selama 43 tahun (dari Juli 1940-Maret 1983) di Bell Telephone Laboratories, tempat ia menerima lebih dari 70 paten Amerika di bidang telekomunikasi, khususnya di bidang switching. Amos E Joel Jr, membuat sistem penyambung (switching) telepon genggam dari satu wilayah sel ke wilayah sel yang lain. Switching ini harus bekerja ketika pengguna telepon genggam bergerak atau berpindah dari satu sel ke sel lain sehingga pembicaraan tidak terputus. Karena penemuan Amos Joel inilah penggunaan telepon genggam menjadi nyaman.
Fungsi dan fitur
Selain berfungsi untuk melakukan dan menerima panggilan telepon, telepon genggam umumnya juga mempunyai fungsi pengiriman dan penerimaan pesan singkat (short message service, SMS). Ada pula penyedia jasa telepon genggam di beberapa negara yang menyediakan layanan generasi ketiga (3G) dengan menambahkan jasa videophone, sebagai alat pembayaran, maupun untuk televisi online di telepon genggam mereka. Sekarang, telepon genggam menjadi gadget yang multifungsi.
Mengikuti perkembangan teknologi digital, kini telepon genggam juga dilengkapi dengan berbagai pilihan fitur, seperti bisa menangkap siaran radio dan televisi, perangkat lunak pemutar audio (MP3) dan video, kamera digital, game, dan layanan internet (WAP, GPRS, 3G). Selain fitur-fitur tersebut, telepon genggam sekarang sudah ditanamkan fitur komputer. Jadi di telepon genggam tersebut, orang bisa mengubah fungsi telepon genggam tersebut menjadi mini komputer. Di dunia bisnis, fitur ini sangat membantu bagi para pebisnis untuk melakukan semua pekerjaan di satu tempat dan membuat pekerjaan tersebut diselesaikan dalam waktu yang singkat.
Jenis Telepon genggam berdasarkan fungsi
Telepon genggam bisnis
telepon genggam jenis ini ditujukan untuk anda yang menginginkan perangkat bisnis dalam genggaman anda, biasanya telepon genggam yang telah memiliki kemampuan ini tergolong telepon genggam cerdas (smartphone). Beragai aplikasi bisnis terdapat dalam telepon genggam ini dan dapat membuat pekerjaan kantor anda dapat dilihat dan dikerjakan dalam sebuah telepon genggam.
Telepon genggam hiburan
telepon genggam jenis ini merupakan telepon genggam berjenis multimedia, di mana semua aktivitas yang berhubungan dengan musik, seni, foto, sosial dan lainnya dapat anda atasi dengan sebuah telepon genggam. Banyak telepon genggam jenis ini yang memiliki varian tersendiri, seperti telepon genggam musik, telepon genggam kamera, dan telepon genggam jejaring sosial.
Telepon genggam fashion
telepon genggam jenis ini lebih banyak mengandalkan tampilannya, dan dapat membuat pemiliknya sangat puas meskipun dengan fitur yang terkesan sederhana. Tetapi dibalik itu semua, sebuah telepon genggam fashion dapat berharga berkali-kali lipat dari harga telepon genggam tercanggih. Dewasa ini dapat ditemukan telepon genggam yang berharga lebih mahal dari harga sebuah kendaraan, bahkan lebih mahal dari harga sebuah rumah.
Telepon genggam standar
telepon genggam jenis ini diperuntukan untuk anda yang menginginkan telepon genggam yang simpel, fitur yang disematkan dalam telepon genggam ini merupakan fitur inti, tanpa teknologi baru yang disematkan.
Perkembangan
Generasi 0
Sejarah penemuan telepon genggam tidak lepas dari perkembangan radio. Awal penemuan telepon genggam dimulai pada tahun 1921 ketika Departemen Kepolisian Detroit Michigan mencoba menggunakan telepon mobil satu arah. Kemudian, pada tahun 1928 Kepolisian Detroit mulai menggunakan radio komunikasi satu arah regular pada semua mobil patroli dengan frekuensi 2MHz. pada perkembangan selanjutnya, radio komunikasi berkembang menjadi dua arah dengan ‘’frequency modulated ‘’(FM).
Tahun 1940, Galvin Manufactory Corporation (sekarang Motorola)mengembangkan portable Handie-talkie SCR536, yang berarti sebuah alat komunikasi di medan perang saat perang dunia II. Masa ini merupakan generasi 0 telepon genggam atau 0-G, di mana telepon genggam mulai diperkenalkan.
Setelah mengeluarkan SCR536,kemudian pada tahun 1943 Galvin Manufactory Corporation mengeluarkan kembali portable FM radio dua arah pertama yang diberi nama SCR300 dengan model backpack untuk tentara U.S. Alat ini memiliki berat sekitar 35 pon dan dapat bekerja secara efektif dalam jarak operasi 10 sampai 20 mil.
Sistem telepon genggam 0-G masih menggunakan sebuah sistem radio VHF untuk menghubungkan telepon secara langsung pada PSTN landline. Kelemahan sistem ini adalah masalah pada jaringan kongesti yang kemudian memunculkan usaha-usaha untuk mengganti sistem ini.
Generasi 0 diakhiri dengan penemuan konsep modern oleh insinyur-insinyur dari Bell Labs pada tahun 1947. Mereka menemukan konsep penggunaan telepon hexagonal sebagai dasar telepon genggam. Namun, konsep ini baru dikembangkan pada 1960-an.
Generasi I
Telepon genggam generasi pertama disebut juga 1G. 1-G merupakan telepon genggam pertama yang sebenarnya. Tahun 1973, Martin Cooper dari Motorola Corp menemukan telepon genggam pertama dan diperkenalkan kepada publik pada 3 April 1973. Telepon genggam yang ditemukan oleh Cooper memiliki berat 30 ons atau sekitar 800 gram. Penemuan inilah yang telah mengubah dunia selamanya.
Teknologi yang digunakan 1-G masih bersifat analog dan dikenal dengan istilah AMPS. AMPS menggunakan frekuensi antara 825 Mhz- 894 Mhz dan dioperasikan pada Band 800 Mhz. Karena bersifat analog, maka sistem yang digunakan masih bersifat regional.
Salah satu kekurangan generasi 1-G adalah karena ukurannya yang terlalu besar untuk dipegang oleh tangan. Ukuran yang besar ini dikarenakan keperluan tenaga dan performa baterai yang kurang baik. Selain itu generasi 1-G masih memiliki masalah dengan mobilitas pengguna. Pada saat melakukan panggilan, mobilitas pengguna terbatas pada jangkauan area telepon genggam.
Generasi II
Generasi kedua atau 2-G muncul pada sekitar tahun 1990-an. 2G di Amerika sudah menggunakan teknologi CDMA, sedangkan di Eropa menggunakan teknologi GSM. GSM menggunakan frekuensi standar 900 Mhz dan frekuensi 1800 Mhz. Dengan frekuensi tersebut, GSM memiliki kapasitas pelanggan yang lebih besar.
Pada generasi 2G sinyal analog sudah diganti dengan sinyal digital. Penggunaan sinyal digital memperlengkapi telepon genggam dengan pesan suara, panggilan tunggu, dan SMS. Telepon genggam pada generasi ini juga memiliki ukuran yang lebih kecil dan lebih ringan karena penggunaan teknologi chip digital. Ukuran yang lebih kecil juga dikarenakan kebutuhan tenaga baterai yang lebih kecil.
Keunggulan dari generasi 2G adalah ukuran dan berat yang lebih kecil serta sinyal radio yang lebih rendah, sehingga mengurangi efek radiasi yang membahayakan pengguna.
Generasi III
Generasi ini disebut juga 3G yang memungkinkan operator jaringan untuk memberi pengguna mereka jangkauan yang lebih luas, termasuk internet sebaik video call berteknologi tinggi. Dalam 3G terdapat 3 standar untuk dunia telekomunikasi yaitu Enhance Datarates for GSM Evolution (EDGE), Wideband-CDMA, dan CDMA 2000.
Pada generasi ini telepon genggam mulai dimasukkan sistem operasi (yang sering disebut smartphone) sehingga membuat fitur semakin lengkap bahkan mendekati fungsi Komputer personal. Sistem operasi yang digunakan antara lain Android, iOS, Symbian, dan Windows Mobile
Generasi IV
Generasi ini disebut juga Fourth Generation (4G). 4G merupakan sistem telepon genggam yang menawarkan pendekatan baru dan solusi infrastruktur yang mengintegrasikan teknologi nirkabel yang telah ada termasuk Wireless Broadband (WiBro), 802.16e, CDMA, wireless LAN, Bluetooth, dan lain-lain. Sistem 4G berdasarkan heterogenitas jaringan IP yang memungkinkan pengguna untuk menggunakan beragam sistem kapan saja dan di mana saja. 4G juga memberikan penggunanya kecepatan tinggi, volume tinggi, kualitas baik, jangkauan global, dan fleksibilitas untuk menjelajahi berbagai teknologi berbeda. Terakhir, 4G memberikan pelayanan pengiriman data cepat untuk mengakomodasi berbagai aplikasi multimedia seperti, video conferencing, online game, dan lain-lain.
Cara kerja
Di dalam telepon genggam, terdapat sebuah pengeras suara, mikrofon, papan tombol, tampilan layar, dan powerful circuit board dengan mikroprosesor yang membuat setiap telepon seperti komputer mini. Ketika berhubungan dengan jaringan nirkabel, sekumpulan teknologi tersebut memungkinkan penggunanya untuk melakukan panggilan atau bertukar data dengan telepon lain atau dengan komputer.
Jaringan nirkabel beroperasi dalam sebuah jaringan yang membagi kota atau wilayah kedalam sel-sel yang lebih kecil. Satu sel mencakup beberapa blok kota atau sampai 250 mil persegi. Setiap sel menggunakan sekumpulan frekuensi radio atau saluran-saluran untuk memberikan layanan di area spesifik. Kekuatan radio ini harus di kontrol untuk membatasi jangkauan sinyal geografis. Oleh Karena itu, frekuensi yang sama dapat digunakan kembali di sel terdekat. Maka banyak orang dapat melakukan percakapan secara simultan dalam sel yang berbeda di seluruh kota atau wilayah, meskipun mereka berada dalam satu saluran.
Dalam setiap sel, terdapat stasiun dasar yang berisi antena nirkabel dan perlengkapan radio lain. Antena nirkabel dalam setiap sel akan menghbungkan penelepon ke jaringan telepon lokal, internet, ataupun jaringan nirkabel lain. Antena nirkabel mentransimiskan sinyal. Ketika telepon genggam dinyalakan, telepon akan mencari sinyal untuk mengkonfirmasi bahwa layanan telah tersedia. Kemudian telepon akan mentransmisikan nomor identifikasi tertentu, sehingga jaringan dapat melakukan verifikasi informasi konsumen- seperti penyedia layanan nirkabel, dan nomor telepon.
Panggilan dari telepon genggam ke telepon rumah
Ketika melakukan panggilan dari telepon genggam ke telepon rumah biasa, panggilan tersebut akan berjalan-jalan di melalui antena nirkabel terdekat dan akan diubah oleh penghantar nirkabel ke sistem telepon landline tradisional. Panggilan tersebut kemudian akan langsung diarahkan ke jaringan telepon tradisional dan ke orang yang menjadi tujuan panggilan.
Panggilan dari telepon genggam ke telepon genggam yang lain
Ketika melakukan panggilan dari ini, panggilan akan dirutekan melalui jaringan landline kepada pengantar nirkabel penerima atau akan dirutekan dalam jaringan nirkabel ke tempat sel terdekat dengan orang yang menjadi tujuan panggilan.
Pada saat berbicara di telepon genggam, maka telepon genggam akan menangkap suara dan mengubah suara menjadi energi frekuensi radio (gelombang radio). Gelombang radio akan berjalan melalui udara hingga menemukan penerima di stasiun dasar terdekat. Stasiun dasar kemudian akan mengirimkan panggilan tersebut melalui jaringan nirkabel hingga sampai pada orang yang menjadi tujuan telepon.
Panggilan jarak jauh
Ketika melakukan panggilan terhadap seseorang yang berada di luar negara si pemanggil berada, panggilan ini tergolong panggilan internasional. Panggilan akan dirutekan pada pusat pertukaran jarak jauh, yang menyambungkan panggilan antar negara atau seluruh dunia melalui kabel serat optik.
Harga telepon genggam
Dengan semakin banyak orang yang menggunakan telepon genggam, maka produksi massal bisa dilakukan. Grafik harga telepon genggam seluruh dunia cenderung semakin murah dari tahun ke tahun. Jika dahulu telepon genggam merupakan sebuah barang yang langka dan eksklusif hanya untuk orang yang mampu, kalangan atas, maka saat ini hampir semua lapisan masyarakat sudah bisa menikmati kenyamanan berkomunikasi menggunakan telepon genggam.
Untuk menekan harga telepon genggam agar bisa semakin murah didapatkan, maka beberapa produsen telepon genggam bekerja sama dengan operator telekomunikasi untuk membundling telepon genggam tersebut dengan layanan operator dengan sistem kontrak. Dengan cara ini harga telepon genggam jadi semakin murah, karena bisa diangsur sekaligus sebagai biaya berlangganan paket komunikasi yang ditawarkan oleh operator.
Telepon genggam juga telah berevolusi. Kini telepon genggam tidak hanya digunakan untuk melakukan percakapan suara atau layanan pesan singkat, namun juga bisa menjalankan berbagai aplikasi komputasi yang canggih. Karenanya ada segmen telepon genggam yang disebut dengan telepon cerdas. Sama seperti harga telepon genggam yang semakin terjangkau, harga telepon cerdas yang pada masa-masa awal harganya selangit, kini juga bisa dinikmati oleh kalangan menengah ke bawah. Salah satu revolusi dalam dunia pasar telepon cerdas adalah saat kehadiran iOS dan Android.
Lihat pula
PDA
Ponsel cerdas
Pranala luar
(in Indonesian)
(in Indonesian)
(in Indonesian)
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
| https://id.wikipedia.org/wiki/Telepon%20genggam |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1143,
3007,
4628,
5805,
9358,
10775,
12232,
15384,
17434,
18225,
18766,
19030,
19353,
19508,
20226,
20859,
21266,
21492,
22410,
22618,
23994,
24776,
25662,
27051,
27497,
28591,
29217,
29728,
29833,
30716,
31397,
32874,
34043,
35644,
36314,
37861,
38583,
39048,
39701,
40032,
40159,
40246,
40354,
40463,
40820
],
"plaintext_end_byte": [
1142,
2974,
4627,
5804,
9357,
10774,
12198,
15383,
17401,
18224,
18765,
19029,
19318,
19503,
20225,
20858,
21265,
21491,
22409,
22590,
23993,
24775,
25661,
26972,
27496,
28590,
29216,
29697,
29806,
30689,
31358,
32822,
33951,
35643,
36312,
37843,
38582,
39047,
39700,
40010,
40157,
40244,
40352,
40424,
40818,
41215
]
} | من هو مؤسس الفكر العلماني ؟ | علمانية | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
6
],
"minimal_answers_start_byte": [
10865
],
"minimal_answers_end_byte": [
10886
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
العَلمانية[1] و<b data-parsoid='{"dsr":[330,346,3,3]}'>العالمانية[2] و<b data-parsoid='{"dsr":[623,637,3,3]}'>اللايكية؛ هو المبدأ القائم على فصلِ الحكومة ومؤسساتها والسّلطة السّياسيّة عن السّلطة الدّينيّة أو الشّخصيّات الدّينيّة.[3][4][5] تختلف مبادئ العلمانية باختلاف أنواعها[6]، فقد تعني عدم قيام الحكومة أو الدّولة بإجبار أيّ أحدٍ على اعتناق وتبنّي معتقدٍ أو دينٍ أو تقليدٍ معينٍ لأسباب ذاتيّة غير موضوعيّة.[7][8] كما تكفل الحقّ في عدم اعتناق دينٍ معيّنٍ وعدم تبنّي دينٍ معيّنٍ كدينٍ رسميٍّ للدّولة. وبمعنى عامّ، فإنّ هذا المصطلح يشير إلى الرّأي القائِل بأنّ الأنشطةَ البشريّة والقراراتِ -وخصوصًا السّياسيّة منها- يجب أن تكون غير خاضعة لتأثير المُؤسّسات الدّينيّة.
تعود جذور العلمانيّة إلى الفلسفة اليونانيّة القديمة، لفلاسفة يونانيّين أمثال إبيقور، غير أنّها خرجت بمفهومِها الحديث خلال عصر التّنوير الأورُبّيّ، على يد عددٍ من مفكّري عصر التنوير من أمثال جون لوك ودينيس ديدرو وفولتير وباروخ سبينوزا وجيمس ماديسون وتوماس جفرسون وتوماس بين وعلى يد عدد من أعلام الفكر الحر خلال العصر الحديث من أمثال بيرتراند راسل وكريستوفر هيتشنز. ينطبقُ نفس المفهوم على الكون والأجرام السّماويّة، عندما يُفسَّر النّظام الكونيّ بصورة دُنيويّة بحتة، بعيدًا عن الدّين، في محاولة لإيجاد تفسير للكون ومُكوّناته. ولا تُعتبر العلمانيّة شيئًا جامدًا، بل هي قابلة للتّحديث والتّكييف حسب ظروف الدِّوَل الّتي تتبنّاها، وتختلف حدّة تطبيقها ودعمها من قبل الأحزاب أو الجمعيّات الدّاعمة لها بين مختلف مناطق العالم. كما لا تَعتبر العلمانيّة ذاتها ضدّ الدّين، بل تقف على الحيادِ منه، في الولايات المتحدة مثلاً، وُجِد أنّ العلمانيّة خدمت الدّين من تدخّل الدّولة والحكومة، وليس العكس.[9]
وقد يعتبرها البعض جزءًا من (التّيّار الإلحاديّ) كما جاء في (الموسوعة العربيّة العالميّة)[10] الصادرة في السعودية.
التّعريف والنشأة
العلمانيّة في العربيّة مُشتقّة من مُفردة عَلَم، وهي بدورها قادمة من اللغات السّاميّة القريبة منها؛ أمّا في الإنجليزيّة والفرنسية فهي مُشتقّة من اليونانية بمعنى "العامّة" أو "الشّعب"، وبشكل أدقّ، عكس الإكليروس أو الطّبقة الدّينيّة الحاكمة؛ وإبّان عصر النهضة، بات المصطلح يشير إلى القضايا الّتي تهمّ العامّة أو الشّعب، بعكس القضايا التي تهمّ خاصّته. أمّا في اللغات السامية ففي السريانية تشير كلمة ܥܠܡܐ (نقحرة: عَلما) إلى ما هو مُنتمٍ إلى العالم أو الدّنيا، أي دون النّظر إلى العالم الرّوحي أو الماورائيّ، وكذلك الأمر في اللغة العبرية: עולם (نقحرة: عُولَم) والبابليّة وغيرهم؛ وبشكل عامّ، لا علاقة للمصطلح بالعلوم أو سواها، وإنّما يشير إلى الاهتمام بالقضايا الأرضيّة فحسب،[11] وأول استعمال لكلمة العَلمانية عُثر عليه في كتاب "مصباح العقل"[12] من القرن العاشر الميلادي لمؤلفه ساويرس بن المقفع الذي قال "أمّا المصريون فرأوا أنْ يكون الأسقف، بالإسكندرية خاصة، بتولاً لم يتزوج في حال عَلْمانيّته".[13]
يسار|200بك|تصغير|الكاتب الإنكليزي جورج هوليوك (1817 -1906) أول من نحت مصطلح "علمانية" عام 1851.
وتقدّم دائرة المعارف البريطانية تعريف العلمانيّة بانها: "حركة اجتماعيّة تتّجه نحو الاهتمام بالشّؤون الدُّنيويّة بدلًا من الاهتمام بالشّؤون الآخروية. وهي تُعتبر جزءًا من النّزعة الإنسانيّة الّتي سادت منذ عصر النهضة؛ الدّاعية لإعلاء شأن الإنسان والأمور المرتبطة به، بدلاً من إفراط الاهتمام بالعُزوف عن شؤون الحياة والتّأمّل في الله واليوم الأخير. وقد كانت الإنجازات الثّقافيّة البشريّة المختلفة في عصر النهضة أحد أبرز منطلقاتها، فبدلاً من تحقيق غايات الإنسان من سعادة ورفاهٍ في الحياة الآخرة، سعت العلمانية في أحد جوانبها إلى تحقيق ذلك في الحياة الحالية".[14]
أقدم التلميحات للفكر العلماني تعود للقرن الثالث عشر في أوروبا حين دعا مارسيل البدواني في مؤلفه «المدافع عن السلام» إلى الفصل بين السلطتين الزمنية والروحية واستقلال الملك عن الكنيسة في وقت كان الصراع الديني الدينيوي بين بابوات روما وبابوات أفنيون في جنوب فرنسا على أشدّه؛ ويمكن تشبيه هذا الصرع بالصراع الذي حصل بين خلفاء بغداد وخلفاء القاهرة.[15] وبعد قرنين من الزمن، أي خلال عصر النهضة في أوروبا كتب الفيلسوف وعالم اللاهوت غيوم الأوكامي حول أهمية: "فصل الزمني عن الروحي، فكما يترتب على السلطة الدينية وعلى السلطة المدنية أن يتقيدا بالمضمار الخاص بكل منهما، فإن الإيمان والعقل ليس لهما أي شيء مشترك وعليهما أن يحترما استقلالهما الداخلي بشكل متبادل."[16] غير أن العلمانية لم تنشأ كمذهب فكري وبشكل مطرد إلا في القرن السابع عشر، ولعلّ الفيلسوف سبينوزا كان أول من أشار إليها إذ قال أن الدين يحوّل قوانين الدولة إلى مجرد قوانين تأديبية. وأشار أيضًا إلى أن الدولة هي كيان متطور وتحتاج دومًا للتطوير والتحديث على عكس شريعة ثابتة موحاة. فهو يرفض اعتماد الشرائع الدينية مطلقًا مؤكدًا إن قوانين العدل الطبيعية والإخاء والحرية هي وحدها مصدر التشريع.[17] وفي الواقع فإن باروخ سبينوزا عاش في هولندا أكثر دول العالم حرية وانفتاحًا آنذاك ومنذ استقلالها عن إسبانيا، طوّر الهولنديون قيمًا جديدة، وحوّلوا اليهود ومختلف الأقليات إلى مواطنين بحقوق كاملة، وساهم جو الحريّة الذي ساد إلى بناء إمبراطورية تجارية مزدهرة ونشوء نظام تعليمي متطور، فنجاح الفكرة العلمانية في هولندا، وإن لم تكتسب هذا الاسم، هو ما دفع حسب رأي عدد من الباحثين ومن بينهم كارن أرمسترونغ إلى تطور الفكرة العلمانية وتبينها كإحدى صفات العالم الحديث.[18]
الفيلسوف الإنكليزي جون لوك كتب في موضوع العلمانية: "من أجل الوصول إلى دين صحيح، ينبغي على الدولة أن تتسامح مع جميع أشكال الاعتقاد دينيًا أو فكريًا أو اجتماعيًا، ويجب أن تنشغل في الإدارة العملية وحكم المجتمع فقط، لا أن تُنهك نفسها في فرض هذا الاعتقاد ومنع ذلك التصرف. يجب أن تكون الدولة منفصلة عن الكنيسة، وألا يتدخل أي منهما في شؤون الآخر. هكذا يكون العصر هو عصر العقل، ولأول مرة في التاريخ البشري سيكون الناس أحراراً، وبالتالي قادرين على إدراك الحقيقة".[19]
تعريف مختصر للعلمانية يمكن إيضاحه بالتصريح التالي لثالث رؤساء الولايات المتحدة الإمريكية توماس جيفرسون، إذ صرّح: "إن الإكراه في مسائل الدين أو السلوك الاجتماعي هو خطيئة واستبداد، وإن الحقيقة تسود إذا ما سمح للناس بالاحتفاظ بآرائهم وحرية تصرفاتهم". تصريح جيفرسون جاء لوسائل الإعلام بعد أن استعمل حق النقض عام 1786 ضد اعتماد ولاية فيرجينيا للكنيسة الأنجليكانية كدين رسمي، وقد أصبح الأمر مكفولاً بقوة الدستور عام 1789 حين فصل الدين عن الدولة رسميًا فيما دعي «إعلان الحقوق». ويفسر عدد من النقاد ذلك بأن الأمم الحديثة لا يمكن أن تبني هويتها على أي من الخيارات الطائفية، أو تفضيل الشريحة الغالبة من رعاياها سواءً في التشريع أو في المناصب القيادية، فهذا يؤدي إلى تضعضع بنيانها القومي من ناحية، وتحولها إلى دولة تتخلف عن ركب التقدم بنتيجة قولبة الفكر بقالب الدين أو الأخلاق أو التقاليد.[20]
أول من ابتدع مصطلح العلمانية هو الكاتب البريطاني جورج هوليوك عام 1851، غير أنه لم يقم بصياغة عقائد معينة على العقائد التي كانت قد انتشرت ومنذ عصر التنوير في أوروبا؛ بل اكتفى فقط بتوصيف ما كان الفلاسفة قد صاغوه سابقًا وتخيله هوليوك، من نظام اجتماعي منفصل عن الدين غير أنه لا يقف ضده إذ صرح: "لا يمكن أن تفهم العلمانية بأنها ضد المسيحية هي فقط مستقلة عنها؛ ولا تقوم بفرض مبادئها وقيودها على من لا يود أن يلتزم بها. المعرفة العلمانية تهتم بهذه الحياة، وتسعى للتطور والرفاه في هذه الحياة، وتختبر نتائجها في هذه الحياة".[21] بناءً عليه، يمكن القول أن العلمانية ليست أيديولوجيا أو عقيدة بقدر ما هي طريقة للحكم، ترفض وضع الدين أو سواه كمرجع رئيسي للحياة السياسية والقانونية، وتتجه إلى الاهتمام بالأمور الحياتية للبشر بدلاً من الأمور الأخروية، أي الأمور المادية الملموسة بدلاً من الأمور الغيبية.
الدولة العلمانية
من المختلف عليه وضع تعريف واضح للدولة العلمانية؛ وفي الواقع فهو تعريف يشمل ثلاث جوانب أساسية، ويتداخل مع مفهوم دين الدولة أو الدين ذو الامتياز الخاص في دولة معينة. هناك بعض الدول تنصّ دساتيرها صراحة على هويتها العلمانية مثل الولايات المتحدة وفرنسا وكوريا الجنوبية والهند وكندا. بعض الدول الأخرى، لم تذكر العلمانية في دساتيرها ولكنها لم تحدد دينًا للدولة، وتنصّ قوانينها على المساواة بين جميع المواطنين وعدم تفضيل أحد الأديان والسماح بحرية ممارسة المعتقد والشرائع الدينية، وإجراء تغيير في الدين بما فيه الإلحاد أو استحداث أديان جديدة بما يشكل صونًا لحقوق الإنسان وحقوق الأقليات الدينية،[22] وهي بالتالي تعتبر دولاً علمانية. هناك الشريحة الثالثة من الدول وتنصّ دساتيرها على دين الدولة معيّن كمصر وموناكو واليونان غير أن دساتيرها تحوي المبادئ العلمانية العامة، كالمساواة بين جميع مواطنيها وكفالة الحريات العامة، مع تقييد لهذه الحريات، يختلف حسب الدول ذاتها. في مالطا وهي دولة تتخذ المسيحية الكاثوليكية دينًا لها يعتبر الإجهاض محرمًا بقوة القانون، وذلك مراعاة للعقائد الكاثوليكية، ومع ذلك فإن نسب تقييد الحريات العامة في مالطا هو أقل بكثير مما هو عليه في دول أخرى كمصر حيث تعتبر الشريعة الإسلامية المصدر الرئيسي للتشريع ما أدى إلى قيود حول تغيير الدين أو بناء دور عبادة غير إسلامية إلى جانب تشريع تعدد الزوجات وغيرها من القضايا المرتبطة بقانون الأحوال الشخصية. المثل المصري ينطبق على عدد من الدول الأخرى، ما دفع بعض الباحثين لاجراء تعديلات اصطلاحية فأحلت "الدولة المدنية" بدلاً من "الدولة العلمانية" واقترح البعض "دولة مدنية بمرجعية دينية"، غير أن ذلك حسب رأي بعض الباحثين يفرغ مبادئ المساواة والحريات العامة من مضمونها ويحصرها في قالب معيّن ما يعني دولة دينية وإن بإطار مدني.[23] أما الدول الأقرب لنموذج مالطا فمن المتفق عليه وصفها دولاً علمانية، إلى جانب بعض التحفظات كعبارة "حياد الدولة تجاه الدين" بدلاً من "فصل الدولة عن الدين".
لا يزال النقاش يدور في الدولة المصنفة علمانيًا حول مدى الالتزام بفصل الدين عن الدولة؛ ففي فرنسا جدول العطل الرسمية مقتبس بأغلبه من الأعياد الكاثوليكية، وكذلك تقدم الدولة من أموال دافعي الضرائب تمويلاً للمدارس الدينية؛[24] أما في الهند وهي أيضًا دولة تنصّ على العلمانية الكاملة، تقدّم الدولة سنويًا إعانات للحجاج المسلمين وصل في عام 2007 إلى 47454 روبية عن كل حاج هندي.[25] أما دستور أستراليا وهي دولة علمانية رغم عدم ورود العبارة صراحة، يذكر في المادة السادسة عشر بعد المئة، على عدم تقييد أي حرية دينية أو ممارسة للشعائر الدينية أو تمييز بين معتنقي مختلف الأديان في مناصب الدولة والحياة العامة، ومع ذلك فإن الدستور ذاته يبدأ بعبارة " بتواضع، نعتمد على نعمة الله المتعالي"[26] (بالإنجليزية: Humble reliance on the blessing of Almighty God)، وسوى ذلك فإن الحكومة الأسترالية تدعم الصلاة المسيحية في المدارس الحكومية وتمول المدارس الدينية التي تعدّ القسس الجدد وكذلك رجال الدين. الحال كذلك في سويسرا وفي الولايات المتحدة الإمريكية، وإن بدرجات متفاوتة لا تشمل في جميع الظروف تقييد أي حرية دينية أو ممارسة للشعائر الدينية أو تمييز بين معتنقي مختلف الأديان في مناصب الدولة والحياة العامة فهي من المبادئ المشتركة بين جميع الدول المصنفة كعلمانية.
المجتمع العلماني
في دراسة الدين، تعتبر الديمقراطية الحديثة بشكل عام علمانية. يرجع هذا إلى حرية الدين شبه الكاملة (المعتقدات الدينية بشكل عام ليست معرضة لاعتماد قانوني أو اجتماعي) بالإضافة إلى انعدام سلطة رجال الدين على القرارات السياسية. على الرغم من ذلك، توصلت بعض الأبحاث التي قام بها مركز بيو للأبحاث أن الأمريكان يشعرون بالراحة أكثر مع لعب الدين لدور رئيسي في الحياة العامة، بينما في أوروبا نجد أن تأثير الكنيسة على الحياة العامة في تراجع مستمر.[27]
انشغل علم الاجتماع الحديث منذ ماكس فيبر بمشكلة السلطة في المجتمعات العلمانية مع وجود العلمنة كعملية اجتماعية أو تاريخية. يشمل علماء القرن العشرين الذين ساهمت أعمالهم في فهمنا لهذه الأمور كلا من كارل بيكر وكارل لوفيت وهانز بلومنبيرغ وماير هاوارد أبرامز وبيتر ل. بيرغر وبول بينيشو وغيرهم الكثير.[28]
أصبحت بعض المجتمعات علمانية أكثر كنتيجة لبعض العمليات الاجتماعية بدلا من كونها نتيجة أعمال حركات علمانية مخلصة. تُعرف هذه العملية باسم العلمنة.
زعم عالم الاجتماع بيتير ل. بيرغر أن العالم الحديث لا يمكن وصفه بعد الآن بأنه علماني أو بأنه يتحول نحو العلمانية بسرعة. بدلا من ذلك يمكننا وصفه على أنه جماعيّ.[29]
الأخلاق العلمانية
وصف جورج هوليوك العلمانية في كتابه المنشور في عام 1896 العلمانية الإنجليزية كما يلي:
“العلمانية هي رمز الواجب المتعلق بهذه الحياة، والمؤسسة على اعتبارات بشرية خالصة، ومخصصة بشكل رئيسي لمن يعتبرون اللاهوت غير متكامل أو غير كاف أو لا يمكن الاعتماد عليه. هناك ثلاثة أسس للعلمانية: (1) تحسين هذه الحياة بطرق مادية. (2) أن العلم هو مصدر العناية البشرية المتاح. (3) أنه من الخير ان تفعل الخير. سواء كان هناك خير آخر أم لا، فإن خير الحياة الحالية هو الخير، ومن الخير أن نسعى وراء هذا الخير.[30]”
أكد هوليوك على أن العلمانية والأخلاق العلمانية يجب ألا يهتما على الإطلاق بالتساؤلات الدينية (لأنها غير مرتبطة بها)، وبالتالي يجب التمييز بينها وبين الفكر الحر القوي والإلحاد. في ذلك الأمر اختلف هوليوك مع تشارلز برادلو مما أدى إلى انقسام الحركات العلمانية بين من يتفقون مع الحركات المناهضة للدين وأن النشاط غير ضروري أو مطلوب وبين من يرون أنه كذلك.
غالبا ما يوصف الجدال الأخلاقي المعاصر في الغرب بأنه "علماني". توصف أعمال بعض فلاسفة الأخلاق المشهورين أمثال ديريك بارفت وبيتر سينغر وحتى كل مجال الأخلاقية الحيوية المعاصرة بأنها علمانية بشكل كامل أو أنها غير دينية.[31][32][33][34]
على الرغم من تعدد وتنوع وجهات النظر الفلسفية للعلمانيين الأخلاقيين، إلا أنهم يتشاركون عموما في واحد أو أكثر من هذه المبادئ:
البشر من خلال قدرتهم على التعاطف، لديهم القدرة على تحديد أسس أخلاقية.
رفاهية الآخرين شأن رئيسي لصانع القرار الأخلاقي.
البشر من خلال المنطق و العقل، قادرون على استخلاص المبادىء المعيارية للسلوك.
قد يؤدي ذلك إلى سلوك أفضل من السلوك القائم على أساس النصوص الدينية. بدلا من ذلك، قد يؤدي هذا إلى الدعوة إلى نظام مختلط من المبادئ الأخلاقية والذي يتحصل على قبول مجموعة واسعة من الناس، سواء الدينية أو غير الدينية.
لدى البشر مسؤولية أخلاقية للتأكيد على المجتمعات والأفراد أن تتصرف على أساس هذه المبادئ الأخلاقية.
يُطبق العديد من هذه المبادئ في علم الأخلاق، ويُستخدم المنهج العلمي للإجابة على الأسئلة الأخلاقية.
دور رجال الدين
الدولة العلمانية هي ضد الثيوقراطية، وبالتالي تعتبر حكمًا مدنيا، وإن كان من الممكن وجود علمانية - عسكرية. ولا يحدد كون الدولة علمانية بدين الدولة بمقدار ما يحدده طبيعة دور رجال الدين في الدولة. الثيوقراطية كنظام حكم، هي حكم طبقة من رجال الدين إما نتيجة حق إلهي أو نتيجة «حفظ الشريعة» الإلهية، وتكون إما مباشرة عن طريق إدراتهم للدولة مباشرة، أو غير مباشر عن طريق الحق بتمرير أو الاعتراض على التشريع والإدارة. غالبًا، ما يشكل رجال الدين في الدول الغير علمانية طبقة أو هيئة ذات صلاحيات، وتكون "سلطة غير منتخبة، وربما وراثية، وغير كفوءة، بل ومطلقة غير مقيدة في الغالب، ووضع السلطة المطلقة في يد طبقة واحدة، مفسدة مطلقة".[35] يمكن وضع العديد من الأمثلة التاريخية حول التحالف بين السلطة ورجال الدين، ودفاع رجال الدين عن مصالحهم ومصالح الطبقة السياسية باسم الدين:[36]
عرض على مجلس الفقهاء في إيران، وهي هيئة لها حق إسقاط أي مشروع يتعارض مع الشريعة الإسلامية، عام 1981 قانون إصلاحات للأراضي الزراعية، تضمن توزيعًا أكثر عدلاً، ونال دعم الخميني. لكن كثيرًا من الفقهاء في مجلس الأوصياء، كانت لديهم أملاك كبيرة، وتشريع كهذا يؤذي مصالحهم؛ وعندما قدّم لهم مشروع الإصلاحات مارسوا حقهم في الاعتراض عليه، بحجة مخالفة الشريعة وأسقطوه. قال الخميني، أن هذه القضية لا تغتفر، وستؤدي إلى عدم ثقة الأمة برجال الدين.
الأمر ذاته وجد بصيغة مختلفة في مصر قبل محمد علي، ولذلك فأول ما قام به محمد علي باشا حين بنى دولة مصر الحديثة، «تقليم أظفار» الطبقة الدينية.[37] الدكتور عبد الحي أحمد المنعم أستاذ الشريعة بجامعة إيموري يقول: "فرض أو تقرير الشريعة عبر القوة القسرية للدولة، ينفي طبيعتها الدينية، لأن المسلمين حينها سيرعون تطبيق شريعة الدولة، ولن ينجزوا بحرية ما يفرض عليهم كمسلمين"، في ذات البحث لا ينفي نعيم حق المسلمين في الاحتكام بقضايا الأحوال الشخصية كازواج والطلاق والإرث للشريعة، شرط أن يكون بحرية.[38]
أخيرًا، فإن نظرية السلطة هي التصادم الأبرز بين بعض الأجنحة الدينية والعلمانية، فمن منظور ديني "الله هو صاحب السلطة، وهو صاحب التشريع، فلابدّ من وجود هيئة تمثله وتعمل على الحفاظ على «الحق الإلهي» في الشرع"؛ هذه الفكرة تعتبر تأصيل فكرة الحكم الثيوقراطي في العصور الحديثة؛ وفي المقابل فإن أوساط دينية أخرى تعلّم أن "الله أوكل الإنسان الأرض ليسوسها ويتسلط عليها؛ فهذه الوكالة هي سلطة سياسة الأرض أي تنظيمها وإدراتها، وبوصفها سلطة تنظيم وإدارة فهي تشريع"،[39] وتعتبر الفكرة السابقة مسيحية أساسًا،[40] ومقبولة في أوساط أخرى.
يمكن القول أن دور رجال الدين في المجتمع العلماني سوى دور الدين، هو إبداء الرأي أو قيادة جماعات ضغط، فرجل الدين يعمل في قلب المجتمع ولا يفرض نفسه عليه من فوق كسلطة، مع الحفاظ على ما تنصّ عليه وثيقة الحقوق.
علاقة العلمانية بالليبرالية والديمقراطية
العلمانية بمعنى أشمل قد تعني فصل الدين عن الممارسات (ومن ضمنها الحياة الشخصية) قد يكون هو الأكثر تميّزا من معارّفها بمعناها الضيق والذي يعني فصل الدين عن الدولة مع بعض مبادئ الليبرالية، حيث تذكر الموسوعة البريطانية ذلك المعنى ضمن الليبرالية [41].
من جهة اُخرى فإن الديمقراطية بمعناها الضيق وهو حكم الأغلبية بدون الاهتمام لحريات الأفراد وهو ما يدعى بالديمقراطية اللاليبرالية، فإنها بهذا المعنى لا تقتضي فصل الدين عن الدولة بالضرورة بل تعتمد على اختيار أغلبية الشعب التي قد تكون دينية كما يمكن أن تكون لادينية. لكن إذا أدخلنا حرية التعبير اللازمة لمنافسة عادلة للمعارضة السياسية في تعريف الديمقراطية فيستلزم ذلك فصل الدين عن الدولة بما يسمح بحرية الأفراد في التعبير بلا قيود دينية إذ بدون هذه الحرية لا يمكن للسياسيين والمفكرين العلمانيين أن يعبّروا عن آرائهم مما يخل بمبدأ الحرية الأساسية للدعاية الانتخابية التي يمكن أن تتضمن ما هو مخالف للدين.
كذلك فإن العلمانية بمعناها الضيق ليست الا جزءا من معنى الليبرالية فهي تفصل الدين فقط عن الدولة وهذا لا يكفي لضمان حرية وحقوق الأفراد بينما تفصل الليبرالية جميع المعتقدات الشمولية عن الدولة سواء كانت دينية أو غير دينية، ومن أمثلة انتهاك حريات وحقوق الأفراد لأسباب غير دينية: حكم ستالين في الاتحاد السوفيتي السابق، وحكم هتلر في ألمانيا النازية.
أما المعنى الأشمل للعلمانية المتمثل بفصل الدين عن الحياة والاهتمام بها على حساب الدين فهو واحد من الخيارات التي تتيحها الليبرالية لأفرادها كما تتيح لهم أيضاً الاهتمام بالدين على حساب الحياة إذا رغبوا ذلك بشرط عدم إرغام الأفراد على أي رأي معيّن بشأن الدين أو غيره.
مراحل العلمانية
مرّت العلمانية الشاملة بثلاث مراحل أساسية:
مرحلة التحديث
اتسمت هذه المرحلة بسيطرة الفكر النفعي على جوانب الحياة بصورة عامة، فلقد كانت الزيادة المطردة من الإنتاج هي الهدف النهائي من الوجود في الكون، ولذلك ظهرت الدولة القومية العلمانية في الداخل والاستعمار الأوروبي في الخارج لضمان تحقيق هذه الزيادة الإنتاجية. واستندت هذه المرحلة إلى رؤية فلسفية تؤمن بشكل مطلق بالمادية وتتبنى العلم والتكنولوجيا المنفصلين عن القيمة، وانعكس ذلك على توليد نظريات أخلاقيّة ومادية تدعو بشكل ما لتنميط الحياة، وتآكل المؤسسات الوسيطة مثل الأسرة.
مرحلة الحداثة
هي مرحلة انتقالية قصيرة استمرت فيها سيادة الفكر النفعي مع تزايد وتعمق آثاره على كافة أصعدة الحياة، فلقد واجهت الدولة القومية تحديات بظهور النزعات العرقية، وكذلك أصبحت حركيات السوق (الخالية من القيم) تهدد سيادة الدولة القومية، واستبدل الاستعمار العسكري بأشكال أخرى من الاستعمار السياسي والاقتصادي والثقافي، واتجه السلوك العام نحو الاستهلاكية الشرهة.
مرحلة ما بعد الحداثة
في هذه المرحلة أصبح الاستهلاك هو الهدف النهائي من الوجود ومحركه الحرية واللهو والتملك، واتسعت معدلات العولمة لتتضخم مؤسسات الشركات متعددة الجنسيات والمنظمات غير الحكومية الدولية وتتحول القضايا العالمية من الاستعمار والتحرّر إلى قضايا المحافظة على البيئة والمساواة بين المرأة والرجل وبين الناس وحماية حقوق الإنسان ورعاية الحيوان وثورة المعلومات. من وجهة أخرى ضعفت في المجتمعات الصناعية المتقدمة مؤسسات اجتماعية صغيرة بطبعها مثل الأسرة، بسبب الأسهاب في مسالة المساوة بين الرجل والمرأة، وظهرت بجانبها أشكالاً أخرى للمعيشة العائلية مثل زواج الرجال أو زواج النساء، وزاد عدد النساء اللاتي يطلبن الطلاق فشاعت ظاهرة امرأة وطفل أو امرأتان وأطفال، كل ذلك مستنداً على خلفية من غياب الثوابت والمعايير الحاكمة لأخلاقيات المجتمع والتطور التكنولوجي الذي يتيح بدائل لم تكن موجودة من قبل ...
التفسير الأمريكي للعلمانية
يرى الكثير من الباحثين أن مفهوم العلمانية يتعرض للتفسير على نحوٍ خاطئ وبصورة متكررة في الولايات المتحدة.[42] كتب جاك بيرلينيربلو من جامعة جورجتاون مقالة عام 2012 على هافينغتون بوست حملت عنوان "العلمانية ليست إلحادا" وانتقد فيه قيام المعلقين من اليسار واليمين السياسي بوضع العلمانية على قدمِ المساواة وبشكلٍ اعتيادي مع أيديولجيات ينظر إليها معظم الرأي العام الأمريكي بسلبية على غرار الستالينية والنازية والاشتراكية، وما ترتب عليه من انتشار فكرة ارتباط العلمانية بالإلحاد. كما وانتقد المحافظين من اليمين لتروجيهم لهذه الفكرة الخاطئة في خطابهم السياسي والاجتماعي منذ سبعينيات القرن العشرين.[42]
العلمانية في الفلسفة السياسية لآخر القرن العشرين
نستطيع ملاحظة أن العديد من المؤسسات العلمانية تفضل تعريف العلمانية على أنها الأرضية المشتركة لكل مجموعات الحياة المتفاعلة فيما بينها سواء الدينية أو الملحدة، لكي تزدهر في مجتمع يكرم حرية التعبير والوعي. يُعتبر المجتمع العلماني الوطني أحد أهم هذه الأمثلة في المملكة المتحدة. يُعتبر ذلك فهم مشترك لما تعنيه العلمانية بين العديد من النشطاء في جميع أنحاء العالم. إلا أن العديد من الدارسين المسيحيين والسياسيين المحافظين يحاولون مقاطعة العلمانية أكثر من مرة، باعتبارها فرضية معادية للأديان وكمحاولة لدفع الدين خارج المجتمع واستبداله بالإلحاد أو فراغ من القيم والعدمية. أدى هذان الجانبان إلى خلق صعوبات في سير الحياة السياسية بخصوص هذا الموضوع. يبدو أن معظم المنظّرين السياسيين في الفلسفة بعد معلم جون رولس "نظرية العدالة" في 1971 وكتابه التالي الليبرالية السياسية (1993)، يبدو أنهم يفضلون استخدام المفهوم المدمج بدلا من استخدام العلمانية. وافق رولس على أن مصطلح العلمانية لا ينطبق:[43]
ولكن ما هو الجدال العلماني؟ يعتقد البعض أن أي نقاش منعكس ونقدي، ويمكن للعامة فهمه كما أنه عقلاني، يعتقدون أنه علماني. على الرغم من ذلك، أحد السمات المحورية في الليبرالية السياسية هو أنها ترى كل هذه الجدالات بنفس الطريقة التي ترى بها الجدالات الدينية. تنتمي المفاهيم العلمانية والتبريرات من هذا النوع إلى الفلسفة الأولى والعقيدة الأخلاقية، وتسقط خارج نطاق السياسة.[43]
إلا أن نظرية رولس الشبيهة برؤية هوليوك بخصوص ديمقراطية متسامحة والتي تعامل كل مجموعات الحياة المتفاعلة فيما بينها بمساواة. تمثلت فكرة رولس في أنه على كل شخص أن يشجع "الديمقراطية الدستورية العقلانية" مع "مبادئ التسامح". كان عمل رولس مؤثرا للغاية على الدارسين في الفلسفة السياسية، كما أن مصطلحه "الإجماع المتراكب" يسمح لعدة أجزاء أن تستبدل العلمانية. في المراجع عن الفلسفة السياسية الحديثة مثل مرجع كولن فاريلي "مقدمة في النظرية السياسية المعاصرة"، نجد أن مصطلح علمانية ليس مفهرسا حتى وفي المراجع التالية له نجد أنه موجود فقط في الهوامش. إلا أنه لا يوجد نقص في النقاش وتغطية الموضوع، لكنه يُطلق عليه الإجماع المتراكب أو الجماعية أو الثقافية المتعددة أو مصطلح آخر. في كتاب أوكسفورد في النظرية السياسية، نجد فصلا واحدا تحت عنوان "العلمانية السياسية" لراجيف بهارغافا. يغطي الفصل العلمانية في سياق عالمي ويبدأ بعبارة: "العلمانية هي عقيدة محاصرة".[44]
المؤسسات
غالبا ما يساند الإنسانيون جماعات مثل المجتمع العلماني الوطني في المملكة المتحدة وحملة الأمريكان المتحدون للعلمانية. في 2005، عقد المجتمع العلماني الوطني حفلا افتتاحيا لعلمانيّ العام. كانت الفائزة الأولى بالجائزة مريم نمازي من حزب العمال الاشتراكي في إيران ومن قنصلية المسلمين السابقين في بريطانيا[45] والتي تهدف إلى كسر الموانع التي تأتي مع ترك الإسلام والتصدي لقوانين الردة والإسلام السياسي. [46]
أحد الأحزاب النشطة في اسكتلندا هو المجتمع العلماني الاسكتلندي والذي يركز حاليا على دور الدين في التعليم. في 2013 قدم الحزب عريضة للبرلمان الاسكتلندي لتغيير قانون التعليم الاسكتلندي لعام 1980 حتى يكون على الأبوين أن يقوما بقرار إيجابي من أجل الرقابة الدينية.
أحد المنظمات العلمانية الأخرى هو التحالف العلماني من أجل أمريكا. يسعى الحزب إلى فصل الكنيسة عن الدولة بالإضافة إلى قبول وإدخال العلمانيين الأمريكيين في الحياة الأمريكية والسياسة العامة. في حين يرتبط التحالف العلماني من أجل أمريكا بالعديد من المنظمات الإنسانية العلمانية كما يدعمه العديد من الإنسانيين العلمانيين، إلا أن هناك مساندين له من غير الإنسانيين.
تعمل بعض المنظمات المحلية من أجل رفع وضع العلمانية في مجتمعاتها كما يميلون إلى تضمين العلمانيين والمفكرين الأحرار والملحدين واللا أدريين والإنسانيين تحت غطاء منظماتهم.
انظر أيضاً
علمانية (صفة).
الفصل بين الكنيسة والدولة.
الإلحاد.
العداء لرجال الدين.
ليبرالية.
تنوير.
ليبرالية علمانية
إلحاد الدولة
التدين-العلماني.
إنسانية (فلسفة)
الإسلام والعلمانية
فكر حر
فكر كمالي.
علمنة
ثيوقراطية
ضد الألوهية
مراجع
وصلات خارجية
- موسوعة ستانفورد للفلسفة Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
*
تصنيف:اتجاهات
تصنيف:الدين والسياسة
تصنيف:الدين والمجتمع
تصنيف:العصر الذهبي الهولندي
تصنيف:إلحاد
تصنيف:عصر التنوير
تصنيف:علم النفس
تصنيف:فكر حر
تصنيف:فلسفة
تصنيف:فلسفة سياسية
تصنيف:لاأدرية
تصنيف:لادينية
تصنيف:مبادئ
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%B9%D9%84%D9%85%D8%A7%D9%86%D9%8A%D8%A9 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1135,
2370,
3688,
3913,
4100,
4962,
7189,
7951,
8893,
9347,
9505,
10028,
10337
],
"plaintext_end_byte": [
1087,
2268,
3624,
3886,
4068,
4897,
7122,
7869,
8861,
9308,
9504,
9968,
10253,
10521
]
} | చిదిమిదరి సీతారామరాజుపేట గ్రామ విస్తీర్ణం ఎంత? | చిదిమిదరి సీతారామరాజుపేట | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
629
],
"minimal_answers_end_byte": [
660
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
చిదిమిదరి సీతారామరాజుపేట శ్రీకాకుళం జిల్లా, వీరఘట్టం మండలంలోని గ్రామం. ఇది మండల కేంద్రమైన వీరఘట్టం నుండి 4 కి. మీ. దూరం లోను, సమీప పట్టణమైన పార్వతీపురం నుండి 28 కి. మీ. దూరంలోనూ ఉంది. 2011 భారత జనగణన గణాంకాల ప్రకారం ఈ గ్రామం 40 ఇళ్లతో, 180 జనాభాతో 219 హెక్టార్లలో విస్తరించి ఉంది. గ్రామంలో మగవారి సంఖ్య 85, ఆడవారి సంఖ్య 95. షెడ్యూల్డ్ కులాల సంఖ్య 1 కాగా షెడ్యూల్డ్ తెగల సంఖ్య 30. గ్రామం యొక్క జనగణన లొకేషన్ కోడ్ 579937[1].పిన్ కోడ్: 532460.
విద్యా సౌకర్యాలు
గ్రామంలో ప్రభుత్వ ప్రాథమిక పాఠశాల ఒకటి ఉంది.
బాలబడి, ప్రాథమికోన్నత పాఠశాల, మాధ్యమిక పాఠశాలలు వీరఘట్టంలో ఉన్నాయి.
సమీప జూనియర్ కళాశాల, ప్రభుత్వ ఆర్ట్స్ / సైన్స్ డిగ్రీ కళాశాల వీరఘట్టంలోను, ఇంజనీరింగ్ కళాశాల రాజాంలోనూ ఉన్నాయి. సమీప మేనేజిమెంటు కళాశాల రాజాంలోను, వైద్య కళాశాల, పాలీటెక్నిక్లు శ్రీకాకుళంలోనూ ఉన్నాయి.
సమీప వృత్తి విద్యా శిక్షణ పాఠశాల, అనియత విద్యా కేంద్రం, దివ్యాంగుల ప్రత్యేక పాఠశాల శ్రీకాకుళంలో ఉన్నాయి.
వైద్య సౌకర్యం
ప్రభుత్వ వైద్య సౌకర్యం
ఒక సంచార వైద్య శాలలో డాక్టర్లు లేరు. ముగ్గురు పారామెడికల్ సిబ్బంది ఉన్నారు.
సమీప ప్రాథమిక ఆరోగ్య కేంద్రం, ప్రాథమిక ఆరోగ్య ఉప కేంద్రం గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉన్నాయి. పశు వైద్యశాల గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. సమీప సామాజిక ఆరోగ్య కేంద్రం, మాతా శిశు సంరక్షణ కేంద్రం, టి. బి వైద్యశాల గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరంలో ఉన్నాయి. అలోపతి ఆసుపత్రి, ప్రత్యామ్నాయ ఔషధ ఆసుపత్రి, డిస్పెన్సరీ, కుటుంబ సంక్షేమ కేంద్రం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరంలో ఉన్నాయి.
ప్రైవేటు వైద్య సౌకర్యం
గ్రామంలోఒక ప్రైవేటు వైద్య సౌకర్యం ఉంది. డిగ్రీ లేని డాక్టరు ఒకరు ఉన్నారు.
తాగు నీరు
గ్రామంలో ఏడాది పొడుగునా చేతిపంపుల ద్వారా నీరు అందుతుంది.
పారిశుధ్యం
గ్రామంలో మురుగునీటి పారుదల వ్యవస్థ లేదు. మురుగునీటిని నేరుగా జలవనరుల్లోకి వదులుతున్నారు. గ్రామంలో సంపూర్ణ పారిశుధ్య పథకం అమలవుతోంది. సామాజిక మరుగుదొడ్డి సౌకర్యం లేదు. ఇంటింటికీ తిరిగి వ్యర్థాలను సేకరించే వ్యవస్థ లేదు. సామాజిక బయోగ్యాస్ ఉత్పాదక వ్యవస్థ లేదు.
చెత్తను వీధుల పక్కనే పారబోస్తారు.
సమాచార, రవాణా సౌకర్యాలు
పోస్ట్ అండ్ టెలిగ్రాఫ్ ఆఫీసు గ్రామానికి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. సబ్ పోస్టాఫీసు సౌకర్యం గ్రామానికి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. పోస్టాఫీసు సౌకర్యం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది.
మొబైల్ ఫోన్ ఉంది. లాండ్ లైన్ టెలిఫోన్, పబ్లిక్ ఫోన్ ఆఫీసు, ఇంటర్నెట్ కెఫె / సామాన్య సేవా కేంద్రం గ్రామానికి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉన్నాయి. ప్రైవేటు కొరియర్ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది.
వ్యవసాయం కొరకు వాడేందుకు గ్రామంలో ట్రాక్టర్లున్నాయి.
ప్రభుత్వ రవాణా సంస్థ బస్సు సౌకర్యం, ప్రైవేటు బస్సు సౌకర్యం, ఆటో సౌకర్యం మొదలైనవి గ్రామానికి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉన్నాయి. రైల్వే స్టేషన్ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది.
జిల్లా రహదారి గ్రామం గుండా పోతోంది. రాష్ట్ర రహదారి గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. జాతీయ రహదారి, ప్రధాన జిల్లా రహదారి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి.
గ్రామంలో కంకర రోడ్లు ఉన్నాయి.
మార్కెటింగు, బ్యాంకింగు
గ్రామంలో స్వయం సహాయక బృందం, పౌర సరఫరాల కేంద్రం ఉన్నాయి. ఏటీఎమ్, వాణిజ్య బ్యాంకు, సహకార బ్యాంకు, వ్యవసాయ పరపతి సంఘం గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉన్నాయి. రోజువారీ మార్కెట్, వారం వారం సంత, వ్యవసాయ మార్కెటింగ్ సొసైటీ గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉన్నాయి.
ఆరోగ్యం, పోషణ, వినోద సౌకర్యాలు
గ్రామంలో అంగన్ వాడీ కేంద్రం, ఇతర పోషకాహార కేంద్రాలు, ఆశా కార్యకర్త ఉన్నాయి. గ్రామంలో వార్తాపత్రిక పంపిణీ జరుగుతుంది. అసెంబ్లీ పోలింగ్ స్టేషన్, జనన మరణాల నమోదు కార్యాలయం ఉన్నాయి. సమీకృత బాలల అభివృద్ధి పథకం, ఆటల మైదానం గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉన్నాయి. సినిమా హాలు, గ్రంథాలయం, పబ్లిక్ రీడింగ్ రూం గ్రామం నుండి 5 కి.మీ.లోపు దూరంలో ఉన్నాయి.
విద్యుత్తు
గ్రామంలో గృహావసరాల నిమిత్తం విద్యుత్ సరఫరా వ్యవస్థ ఉంది. రోజుకు 6 గంటల పాటు వ్యవసాయానికి, 14 గంటల పాటు వాణిజ్య అవసరాల కోసం కూడా విద్యుత్ సరఫరా చేస్తున్నారు.
భూమి వినియోగం
చిదిమిదరి సీతారామరాజుపేటలో భూ వినియోగం కింది విధంగా ఉంది:
వ్యవసాయేతర వినియోగంలో ఉన్న భూమి: 8 హెక్టార్లు
నికరంగా విత్తిన భూమి: 210 హెక్టార్లు
నీటి సౌకర్యం లేని భూమి: 22 హెక్టార్లు
వివిధ వనరుల నుండి సాగునీరు లభిస్తున్న భూమి: 188 హెక్టార్లు
నీటిపారుదల సౌకర్యాలు
చిదిమిదరి సీతారామరాజుపేటలో వ్యవసాయానికి నీటి సరఫరా కింది వనరుల ద్వారా జరుగుతోంది.
కాలువలు: 188 హెక్టార్లు
ఉత్పత్తి
చిదిమిదరి సీతారామరాజుపేటలో ఈ కింది వస్తువులు ఉత్పత్తి అవుతున్నాయి.
ప్రధాన పంటలు
వరి
మూలాలు
వెలుపలి లంకెలు
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%9A%E0%B0%BF%E0%B0%A6%E0%B0%BF%E0%B0%AE%E0%B0%BF%E0%B0%A6%E0%B0%B0%E0%B0%BF%20%E0%B0%B8%E0%B1%80%E0%B0%A4%E0%B0%BE%E0%B0%B0%E0%B0%BE%E0%B0%AE%E0%B0%B0%E0%B0%BE%E0%B0%9C%E0%B1%81%E0%B0%AA%E0%B1%87%E0%B0%9F |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
241,
867,
1241,
1772,
2129,
2888,
3325,
4067,
4443,
4707,
5609,
6198,
6507,
7239,
8416,
8630,
8921,
9379,
9627,
9832,
10061,
10297,
10871,
11712,
12215,
12660,
13465,
13941,
14932
],
"plaintext_end_byte": [
240,
866,
1240,
1706,
2128,
2887,
3296,
4066,
4442,
4706,
5608,
6197,
6506,
7238,
8415,
8603,
8914,
9378,
9626,
9831,
10060,
10274,
10870,
11711,
12180,
12659,
13464,
13940,
14921,
15000
]
} | Does China own Singapore? | China–Singapore relations | english | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
People's Republic of China – Singapore relations officially started on 3 October 1990.[1] Diplomatic missions were established in the early 1990s based on trade and the warming of ties from other ASEAN countries towards mainland China.
Singapore and China have maintained a long-standing and greatly prioritised close relationship, partly due to the latter's growing influence and essentiality in the Asia-Pacific region, specifying that "its common interest with China is far greater than any differences". Furthermore, Singapore has positioned itself as a strong supporter for China's constructive engagement and peaceful development in the region. It has engaged co-operation with other ASEAN members and China to strengthen regional security and fight terrorism, while participating in the organisation's first maritime exercise with the latter.[2][3][4][5]
While relationship between the two countries stand strong, differences were experienced during numerous high-profile events, including Singapore's stance against China regarding the South China Sea dispute, Singapore's support for the United States' military presence and alliance system in Asia and the seizing of SAF vehicles by Hong Kong authorities in November 2016.[6]
Despite the disputes, Singapore and Beijing have consistently affirm their unwavering close relationship and bilateral ties, deepening their co-operation in numerous areas, including defence, economy, culture and education, as well as One Belt One Road Initiative. Singapore has also vowed to fully support and promote China's position in ASEAN, while managing the differences between the Chinese state and the organisation.[7][8][9][10][11][12][13][14][15][16][17]
History
Singapore as a British colony and as a part of Malaysia
Historic links between the two nations' people began much earlier than the founding of the People's Republic of China in October 1949. Most early Chinese migrants came as labourers to what was known as Nanyang to escape poverty and war. Many ethnic Chinese Singaporeans derived their ancestral roots in southern China from Fujian, Guangdong and Hainan.[18]
Many ethnic Chinese people in Malaya and Singapore had supported China in the Second Sino-Japanese War (that became a part of the Second World War). This support extended to aiding the Kuomintang and the Chinese Communist Party against the Japanese. Much like the Viet Minh, the Malayan People's Anti-Japanese Army guerrilla force turned into the Malayan National Liberation Army, associated with the Malayan Communist Party. The Malayan National Liberation Army fought in the Malayan Emergency and the Second Malayan Emergency as communist guerrillas, and China was accused of exporting revolution to Southeast Asia during this time.[19] China's support for the Malayan Communist Party ended when Malaysia and China established diplomatic relations in 1974.
The ethnic Chinese people were major supporters of the Malayan Communist Party, and Chinese-language secondary schools and Nanyang University were viewed hotbeds of communism (see Operation Cold Store and Chinese middle schools riots). Because of this association, Nanyang University was reorganised. It eventually merged with the University of Singapore to form the National University of Singapore.[20][21]
Post-Singapore independence
Lee Kwan Yew, the first prime minister of Singapore was very careful to avoid giving any impression of Singapore, three-quarters ethnic Chinese, being a "Third China" (the first two being the Republic of China and the People's Republic of China). This was due to Singapore's experience with communists, the backdrop of the ongoing Vietnam War, as well as domestic political considerations. As a result, Singapore did not establish diplomatic relations with China until the other countries in the region had decided they wanted to do so, to avoid portraying a pro-China bias.[22][19] His official visits to China starting in 1976 were conducted in English, to assure other countries that he represented Singapore, and not a "Third China".[23]
During this period, Lee believed in the need to resist communism as part of the domino theory.[24] Between the failure of the British to defend Singapore in the Second World War and the belief that the United States was too war-weary to defend Singapore from communism, Lee welcomed American presence in the region to act as a counterweight to the Soviet Union and China.[22]
In the 1970s, People's Republic of China and Singapore began unofficial relations. This led to the exchange of Commercial Representatives' Offices between the two nations in 1981. In 1985, commercial air services between mainland China and Singapore commenced.[1]
Diplomatic ties between the two countries officially began in 1990. On 3 October 1990, Singapore revised diplomatic relations from the Republic of China to the People's Republic of China. The relationship between Singapore and the PRC has since improved significantly.[25] In 2004, shortly before the current Prime Minister of Singapore Lee Hsien Loong took office from the then incumbent Goh Chok Tong, he made a visit to Taiwan to familiarise himself with the latest developments there.[26] Bilateral ties took a dive.[27] The People's Republic of China took offence to the trip due to the complicated political status of the region[27] Later in 2004, Chinese government put bilateral relations on hold.[28] In his maiden National Day Rally speech, Lee criticised the Taiwanese leadership and populace of overestimating the support they would receive if they were to declare Taiwan independence;[29]
Singapore was the last country in Southeast Asia, to formally recognise the People's Republic of China.[30] Singapore still maintains unofficial relations with the Republic of China, including the continuation of a controversial military training and facilities agreement from 1975.[31] This is due to a lack of usable space in built-up Singapore.[31] The People's Republic of China has officially offered Singapore to shift its training facilities from Taiwan to Hainan Island,[31][32][33] with official annual military exercises known as Exercise Starlight (星光計畫)[34] in Taiwan.
Relations between the two countries gradually improved as China and Singapore forged agreements in free trade, education, foreign investment, modern armament and technology.[1] Examples are the Suzhou Industrial Park and the Sino-Singapore Tianjin Eco-city, which were constructed with the help of Singapore.
While Singapore is not a party to the territorial disputes in the South China Sea, it has an interest in the outcome of these disputes since they have implications for international law, freedom of navigation, and ASEAN unity.[35] In 2016, China's Global Times accused Singapore of supporting the Philippines v. China ruling in favour of the Philippines during the Non-Aligned Movement meeting in Venezuela, based on unnamed sources.[36] The Global Times' account was disputed by Singapore's ambassador to China, Stanley Loh.[37] Thereafter, Yin Jinnan of the PLA National Defence University commented that "Beijing should make Singapore pay the price for seriously damaging China's interests" with retaliations and sanctions".[38]
In November 2016, nine Singapore Army Terrex armoured personnel carriers and associated equipment were seized by the Hong Kong Customs and Excise Department at the Kwai Tsing Container Terminal (formerly Kwai Chung Container Terminal).[39] The vehicles and equipment were being shipped back to Singapore from Taiwan after a military exercise in Taiwan. The shipment was seized because American President Lines (APL), the private shipping company engaged by the Singapore military to handle the shipment, did not have the appropriate permits for the vehicles equipment.[40] The shipment was later moved to the Hong Kong Customs depot at Hong Kong River Trade Terminal and kept indoors since 6 December 2016. This was Hong Kong's biggest seizure of such equipment in the past twenty years.[41][42] In January 2017, 2 months after the Terrex APC vehicles were detained, Hong Kong Customs announced that the military vehicles would be returned to Singapore. Commissioner of the Customs and Excise Department, Roy Tang Yun-kwong, said that shipping company American President Lines would likely face criminal charges over the incident for suspected breach of the Hong Kong Law.[43]
Some observers believe that Chinese attitudes toward Singapore are changing, in that they now know not to assume Singapore's support on international issues on the basis of ethnicity.[44]
Diplomatic representation
China has its embassy at Tanglin Road in Singapore, while Singapore's embassy in Beijing was established in 1990,[45] and it has Consulates-General in Chengdu, Guangzhou, Shanghai, and Xiamen, as well as Hong Kong, known during the era of British rule as the Singapore Commission.[46]
Trade
The bilateral trade between China and Singapore developed rapidly in recent years and Singapore has maintained the first position among ASEAN countries in their trade with China.[1] China's transformation into a major economic power in the 21st century has led to an increase of foreign investments in the bamboo network, a network of overseas Chinese businesses operating in the markets of Southeast Asia that share common family and cultural ties.[47][48]
In 1998, volume of trade was US$8.154billion in 1998.[1] In 1999, the trade value has increased to US$8.56billion.[1] In 2000, the amount increased to US$10.821billion.[1] In 2009, the total trade volume was SGD 75.1billion (USD 58.4 Billion).[49]
Singapore is China's 9th largest trading partner.[50] While China is Singapore's 3rd largest trading partner which consisted of 10.1 percent of Singapore's total external trade from the previous year.[51]
China's export to Singapore were textiles, clothing, agriculture produce, petrochemical, metals, electromechanical equipment, feed, coking coal, shipping, machinery supplier, communication equipment and electronic components.[1]
Companies such as Capitaland and Breadtalk have made substantial inroads into China's domestic economy.[52][53][54] Others such as Temasek Holdings, Singapore Airlines have each invested in China Eastern Airlines.
Culture and education
One of the most visible symbols of China's efforts to export its soft power is the Confucius Institute. Confucius Institute in Singapore was established in 2005 as a collaboration with Nanyang Technological University, successor to the former Chinese-language Nanyang University. Its stated mission is to provide Singapore with a platform for learning the Chinese language and its culture, and enhancing communication with other Chinese communities.[55] In November 2015, China opened the China Cultural Centre in Singapore, to facilitate exchanges in arts and culture.[56]
Current difficulties notwithstanding, Singapore's economically-successful dominant party system has led its political system to be studied and cited as a potential model for China's government.[57][58] Such a viewpoint has been institutionalised: Nanyang Technological University offers master's degree programs that are well-attended by Chinese public officials.[59] Outside of programs for public officials, Singapore is a popular destination for Chinese students due to its education standards, its proximity to home, its perceived cultural similarities, and the cost of an education as opposed to the US or UK.[60] Paradoxically, while some Chinese students like Singapore for its cultural similarity, its meritocratic culture in contrast with the Mainland Chinese concept of guanxi (connections) is also viewed in a positive light.[61]
Aside from bilateral exchanges, Singapore's Chinese-language Lianhe Zaobao newspaper has been cited by Chinese officials as a symbol of Singapore's soft power through its reporting on China to the world. Zaobao.com was the first Chinese-language newspaper website to be available in 1995.[62] In 2009, access to Lianhe Zaobao was reportedly blocked by China's Great Firewall for a period, presumably due to Lianhe Zaobao's reporting on China's internet censorship.[63]
Chinese immigration to Singapore
Chinese people have immigrated to what is known as Singapore since Zheng He's voyages in the 15th century; those early immigrants integrated into the host societies, and their descendants are now known as Peranakans. Modern Chinese immigration is defined here as that occurring after Singapore's independence in 1965. Chinese immigrants to Singapore range from university students, skilled and unskilled labourers, professionals, and investors.
A large fraction of Singaporeans are ethnic Chinese (74% in 2015[64]), causing some people in China to view Singapore as a Chinese society that should consequently be sympathetic to China's interests.[65][66] Differing mutual expectations has been a problem from Singapore's first government-to government contacts with China. In fact, in one these early meetings, Chinese officials spoke of their affinity toward visiting Singaporean officials, referring to the latter as "kinsmen"; such a feeling was not mutual.[22] More recently, people from China have taken to describing Singapore as "Po County" (坡縣), comparing it with a county of China. This reference is made by some Chinese people due to perceived cultural similarities, but the comparison is not viewed favourably by many Singaporeans.[67]
The Singaporean Chinese today are largely Singapore-born and bred with the exception of some first-generation Chinese, and have no loyalty to either the People's Republic of China or to the Republic of China.[68] Singapore is especially sensitive to racial strife due to past riots (see list of riots in Singapore),[69] so Singapore's nation-building efforts have focused on building a multicultural Singaporean identity at the expense of Singaporeans' ethnic identities.[70]
The differing Singaporean and Chinese expectations lead to misunderstandings when China and Singapore's foreign policies are in conflict, described above. These misunderstandings also occur when Chinese citizens migrate to Singapore and conflict with the existing multicultural Singapore-centric society.[71] Examples of this conflict include a curry dispute that pointed to an immigrant family's difficulty with accepting the local culture,[72] an illegal bus driver strike in 2013 that challenged Singapore's sense of law and order,[73] and a traffic collision by a Chinese immigrant driving at 178km/h killing several people that angered Singaporeans.[74] Some Singaporeans view these instances as manifestations of Chinese immigrants' lack of respect of the local culture, and an unwillingness to integrate.[75] Similar criticisms have been made of Indian immigrants.[76] Such views have been exacerbated by immigrants in general competing for opportunities and resources.[75]
See also
ASEAN–China Free Trade Area
Bamboo network
Gwadar Port controversy
Further reading
(in Chinese)
| https://en.wikipedia.org/wiki/China%E2%80%93Singapore%20relations |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
594,
1039,
2115,
3298,
4595,
4822,
5935,
6771,
9068,
10279,
11651,
12221,
13062,
13562,
15149,
16181,
17668,
18743,
19821,
20561,
21799,
22509,
23057,
24187,
25141,
26311,
27294,
28434,
29296,
29689,
31544,
32006,
32377,
32744,
33103,
33439,
34521,
35244,
36773,
37054,
37812,
38630,
38992,
39457,
39707,
39958,
40280,
40511,
40588,
42015,
42414,
43169,
43878,
44049,
45492,
47001,
47490,
48365,
48944,
49883,
50331,
51967,
52706,
53376,
53828,
56354,
58363,
58581,
59158,
59723,
60377,
60855,
61638,
62172,
63237,
64727,
66166,
66755,
67344,
67745,
68275,
69063,
69615,
70132,
70725,
71296,
71811,
72708,
73085,
73413,
75028,
75640,
76508,
77276,
77870,
78494,
79090,
79311,
79522,
79728
],
"plaintext_end_byte": [
593,
1038,
2114,
3289,
4594,
4821,
5877,
6769,
9067,
10278,
11625,
12220,
13061,
13560,
15126,
16180,
17638,
18742,
19782,
20560,
21798,
22497,
23056,
24155,
25140,
26310,
27293,
28420,
29262,
29688,
31543,
32005,
32376,
32743,
33102,
33421,
34520,
35243,
36772,
37053,
37811,
38629,
38991,
39456,
39706,
39957,
40279,
40499,
40587,
41990,
42413,
43168,
43877,
44034,
45483,
47000,
47489,
48364,
48943,
49882,
50330,
51966,
52705,
53375,
53820,
56353,
58355,
58580,
59157,
59722,
60376,
60845,
61637,
62171,
63236,
64718,
66165,
66747,
67343,
67744,
68267,
69048,
69614,
70131,
70724,
71295,
71787,
72707,
73084,
73412,
75027,
75639,
76500,
77275,
77869,
78483,
79089,
79296,
79498,
79690,
80005
]
} | 피드나 전투는 언제 종결되나요? | 미국 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
미합중국[1](美合衆國, , 약자: US, USA), 약칭 합중국(, U.S.) 또는 미국(美國)은 주 50개와 특별구 1개로 이루어진 연방제 공화국이다. 태평양의 하와이주를 제외한 모든 주와 수도인 워싱턴 D.C.는 북아메리카에 있으며, 북측으로는 캐나다와 남측으로는 멕시코와 국경을 맞댄다. 북아메리카 북서측에 있는 알래스카주는 동측으로는 캐나다와 서측으로는 베링 해협을 사이로 러시아와 마주한다. 미합중국은 태평양과 카리브 해에 해외 영토를 보유한다.
세계 여러 나라 중에 미국은 총면적 기준으로 세번째고 세 번째로 인구가 많은 국가다. 세계에서 손꼽히는 다문화 국가고 세계 각국에서 수많은 이민자가 들어온다.[2] 미국의 경제는 2018년 기준 명목상 국내 총생산이 20조 4128억 달러로, 세계 1위 최대 경제 규모로 현재 2위인 중국이 국내 총생산 14조 925억 달러로 세계 2위 수준이다.[3][4]
아시아 대륙에서 기원한 것으로 보이는 아메리카 원주민은 오늘날 미국 본토에 오랜 세월 동안 살아왔으나 아메리카의 유럽 식민지화 이후 전쟁과 질병으로 급감하였다. 미국은 대서양 해안을 따라 늘어선 13개 식민지에서 건국되었다. 13개 주 국가는 1775년 5월에 식민 본국인 영국과 전쟁을 벌였고(미국 독립 전쟁), 1776년 7월 4일에는 독립선언서를 발표하면서 민족 자결의 권리를 바탕으로 한 연맹체 국가의 성립을 선포했다. 이후 1783년까지 전쟁을 벌인 미국은, 파리 조약을 통해 영국의 식민지 중에서 최초로 독립을 쟁취했다.[5] 1787년 9월 17일, 필라델피아 헌법회의에서 오늘날의 미합중국 헌법이 채택되었으며, 이듬해에 비준되어 이 주들은 강력한 중앙 정부를 둔 단일 공화국이 되었다. 1791년에 비준된 미국 권리장전은 10개의 수정 헌법으로 구성되어 있으며, 여러 기본적인 민권과 자유를 보장하고 있다.
19세기에 미국은 프랑스, 스페인, 영국, 멕시코, 러시아 제국으로부터 영토를 획득하고, 텍사스 공화국과 하와이 공화국을 병합했다. 이 외에도 태평양과 카리브 해에서 영토를 획득했다. 농업 중심의 미국 남부와 산업화된 미국 북부 간에 주의 권리와 노예제 확대 문제를 놓고 갈등하면서 1860년대에 미국 남북 전쟁이 일어났다. 북부가 승리하면서 영구적인 국가 분열 사태를 막았으며, 미국에서 노예제가 폐지되었다. 이후 1870년대에 미국 경제는 가속화된 산업화와 함께 세계 최대 규모로 발전하였다.[6] 미국-스페인 전쟁과 제1차 세계 대전으로 미국은 군사 강대국의 지위를 굳혔다. 제2차 세계 대전에서 미국은 최초로 핵무기를 보유하고, 유엔 안전보장이사회 상임 이사국이 되었다. 냉전이 종결되고 소비에트 연방이 해체되면서 미국은 세계의 유일한 초강대국이 되었다. 이 나라는 전 세계 군비 지출의 3/5를 차지하고 있으며, 세계의 정치, 경제, 문화를 선도하는 강대국이다.[7] [8]
명칭
1507년, 독일의 지도학자인 마르틴 발트제뮐러가 세계 지도를 만들었는데, 그는 이 지도에서 서반구에 있는 땅을 이탈리아의 탐험가이자 지도학자인 아메리고 베스푸치의 이름을 따 "아메리카"라고 명명했다.[9] 과거 영국 식민지 시대에 미국 독립선언서에서 "미합중국의 만장일치 선언"(unanimous Declaration of the thirteen United States of America)이라고 나와 처음으로 이 나라의 현 명칭이 쓰이는데, 이것은 1776년 7월 4일에 "아메리카 합중국 대표자"들이 채택한 것이었다.[10] 1777년 11월 15일에 제2차 대륙 회의에서 연합 규약(Articles of Confederation)을 채택하면서 "이 연합의 입구는 '미합중국'(The United States of America)이 될 것이다."라고 하면서 오늘날의 국호가 확립되었다. 이 국호의 축약형인 'United States'도 표준 명칭이다. 그 밖에 흔히 쓰이는 명칭으로는 'the U.S.', 'the USA', 'America'가 있다. 일상 회화에서 쓰이는 이름으로는 'the U.S. of A.'와 'the States'도 있다. 미국의 대중적인 명칭인 '컬럼비아'는 크리스토퍼 콜럼버스에서 유래한 말로, 수도인 '워싱턴 컬럼비아 특별구 에서도 나오는 이름이다.
영어권에서 미국인을 이를 때 '아메리칸'(American)을 사용한다. 또 미국의 정식 형용사는 'United States of America'이지만, 'America'이나 'U.S.'가 가장 흔히 미국을 일컫는 형용사다.
한편 오늘날 대한민국 및 중화권에서 쓰이는 '미국'(美國)이라는 명칭은 청나라 시대 중국인들이 '아메리칸'을 중국어 발음에 가깝게 적은 음역인 '美利堅'에서 왔다. 이 말의 기원은 미국이라는 뜻인 'American'에서 나온다. 당시 청나라 시대 중국인들은 이것을 '메리칸'으로 들었고, 가까운 중국어 발음인 '메이리지안(美利堅)'이라고 했다. 이를 줄여 '메이궈'(美國)로도 표기하였고, 당시 조선인들이 이를 한국어식 한자음으로 읽어 '美利堅(미리견)', '미국(美國)'으로 읽고 표기했다.[11] 일본에서는 '亞米利加'(아미리가)로 표기했으며, 이를 줄여서 '베이코쿠(米國)'로 표기하기도 했다. 일제 강점기 조선에서도 이 표기를 사용했으며, 조선민주주의인민공화국에서는 현재에도 일본식 음역인 '미국(米國)'을 사용한다.[12] 그 밖에도 한국어에서 '며리계'(彌里界)라는 독자적인 음차 표기도 있었다.[11]
역사
아메리카 원주민과 유럽의 식민지화
알래스카 원주민을 비롯한 북아메리카 본토의 원주민들은 주로 아시아에서 이주해 온 것으로 여겨진다. 12,000년 ~ 40,000년 전에 아메리카에 온 것으로 보이는 이들[13] 북아메리카의 동남부와 서남부의 원주민 집단은 진보한 농경과 건축을 통해 국가 수준의 사회를 이룩했고 북미 전지역에 걸쳐 다양하고 복잡한 문화를 형성했으나, 유럽인들에 의해 전파된 천연두 등 수많은 외래 질병과 전쟁 및 노예화와 착취로 인해 수많은 아메리카 토착민들이 목숨을 잃었다. (1492년경 8천만 명에 이르렀던 원주민의 인구는 1650년경에는 8백만 명 정도로 줄어들었는데, 이는 유럽의 흑사병을 넘어선 인류의 대재앙[14] 이라고 서술하기도 한다.)
1492년, 제노바 출신 탐험가 크리스토퍼 콜럼버스는 포르투갈의 지원을 얻지 못하자 이사벨 1세의 주도로 카스티야와 아라곤왕국이 연합하여 성립된 스페인 왕실과 계약을 맺어 카리브 해 제도까지 다다라, 원주민들과 처음으로 조우하였다. 1513년 4월 2일, 스페인의 정복자 후안 폰세 데 레온이 스스로 "라 플로리다"(La Florida)라고 부른 땅에 처음으로 발을 디뎠는데, 이때가 유럽인으로는 처음으로 미국 본토에 도착한 것으로 기록되어 있다. 이 지역에 스페인 정착지가 들어서고 연이어 오늘날의 미국 서남부지역인 멕시코까지 이어졌다. 프랑스인인 모피 무역상 쿠레르 데 브와들은 오대호 주변 지역에 누벨 프랑스라는 전초 식민지를 건설했으며, 마침내 프랑스는 멕시코 만에 이르는 북아메리카 내륙 지방 대부분을 자신들의 영토로 주장했다. 정착에 성공한 초기 영국인 정착지로는 1607년 제임스타운의 버지니아 식민지와, 1620년 청교도들의 플리머스 식민지다. 1619년에 이들 식민지는 이미 버지니아 회의를 구성했는데 이는 메이플라워 협약보다도 앞선 미국 최초의 민주적인 의회였다. 1628년에 매사추세츠 만 식민지회사의 칙허로 말미암아 이주민들이 대거 흘러들어오게 되며, 1629년에 메릴랜드에, 1634년에 뉴 잉글랜드에는 10,000여명의 청교도들이 살게 되었다. 1610년대 말에서 미국 혁명에 이르기까지 약 50,000명의 죄수들이 영국령 아메리카 식민지로 이송되었다.[15] 1614년부터 네덜란드 정착민들이 맨해튼 섬의 뉴암스테르담 등 허드슨 강 하구를 따라 정착했다. 이주해온 대다수의 인구는 잉글랜드의 청교도, 프랑스와 스위스의 위그노, 아프리카에서 노예로서 이주하거나 중남미 식민지에서 들어온(이미 사탕수수 농장의 노동력을 위해 도입되었다.) 아프리카계 미국인들이었다. 이들은 뉴잉글랜드와 버지니아를 중심으로한 미드 애틀랜틱 지역, 캐롤라이나를 중심으로한 남부 곳곳에 이주하여 미국의 역사가 태동했다.
1674년, 영국-네덜란드 전쟁 이후 네덜란드는 자신들의 아메리카 영토를 영국에 할양했으며, 뉴네덜란드 주는 뉴욕 주로 개명되었다. 새 이주민 다수는 특히 남부로 몰렸는데, 이들은 계약 노동자들로, 1630년~1680년 사이에 버지니아의 전체 이주민 가운데 약 2/3가 계약 노동자들로 남부 대지주들의 플랜테이션이나 잡일을 위해 고용되었다가 계약 후에 자유 시민이 되었다.[16] 18세기에 들어, 아프리카 노예들이 담보 노동의 주요 원천이 되었다.
1729년 북부와 남부의 경제·사회적인 갈등으로 캐롤라이나가 노스캐롤라이나와 사우스캐롤라이나로 분리되고, 1732년 스페인을 견제하기 위하여 조지아에 식민지가 설치되면서, 이후 미합중국을 이루게 될 영국의 식민지 13개 식민지가 모두 성립됐다. 이들 각 주는 대부분의 남성 자유민들이 참여하는 선거를 통해 지방 정부를 두었는데, 옛 영국인의 권리에 헌신하고 공화주의를 고무시킨 지방 자치의 관념이 발전하였다. 모든 주에서 아프리카 노예 무역을 합법화했다.
아메리카 식민지는 출산율이 높고 사망률이 낮으며, 여성을 포함한 이민자가 끊임없이 유입하여 인구가 급속히 증가했다. (미국의 평균수명은 영국의 평균수명보다 10세이상 앞서있었다.) 프렌치 인디언 전쟁에서 영국군이 프랑스에게 캐나다를 빼앗았으나, 이 곳의 프랑스어를 쓰는 주민들은 남쪽 식민지와는 정치적으로 독립된 상태를 유지하였다. 아메리카 토착민들을 제외한 이들 13개 식민지의 인구는 1770년에 260만여 명으로 당시 영국의 1/3 수준이었으며, 아메리카 인구의 1/5은 아프리카계 미국인 노예들이었다.[17] 아메리카 식민지는 영국에 조세를 납부했으나, 영국 의회에 대표자를 두지 못했다. 1730년대와 1740년대의 대각성 운동이라는 기독교 부흥주의 운동으로 종교와 종교 자유에 대한 관심이 커졌다. 또한 이 운동으로 인해 미국 대학의 역사가 시작되는데, 종교의 자유와 과학의 탐구를 위해 적지않은 대학들이 설립되었다. 1636년에 하버드 대학교가, 이후에 윌리엄 앤 메리 대학교, 예일 대학교, 프린스턴 대학교, 펜실베이니아 대학교 등 소위 아이비리그로 지칭되는 명문 사립 대학들이 설립되었다.
독립과 영토 확장
1760년대와 1770년대 초 혁명기에 아메리카 식민지와 영국 사이 대립으로 미국 독립 전쟁(1775년 ~ 1781년)이 일어났다. 1775년 6월 14일, 필라델피아에서 열린 대륙 회의에서 대륙군을 창설했고, 사령관으로 조지 워싱턴을 임명했다. 1776년 7월 4일 이 회의에서 토머스 제퍼슨이 초안을 쓴 독립 선언서를 채택했다. 이 날이 오늘날 미국의 독립기념일이다. 1777년 연합 헌장으로 결속력이 약한 국가연합 정부를 설립해서 1789년까지 존속했다.
프랑스 지원을 받은 아메리카 군대가 영국을 무찔러,(요크타운 전투) 영국은 미합중국의 독립을 인정하고, 이들 주에게 미시시피 강 동쪽의 아메리카 영토에 대한 주권을 승인했다. 독립 당시 미국의 수도는 뉴욕이었다. 조세권을 가진 강력한 국가를 창설하길 바라는 사람들이 1787년에 필라델피아 헌법회의를 조직하였다. 1789년에 미국 헌법이 비준되었으며, 1789년에 신생 공화국의 초대 상하원 의회가 출범하고 조지 워싱턴이 대통령에 취임했고, 1790년에는 수도를 필라델피아로 옮겼다. 연방 정부가 개인의 자유 및 다양한 법적 보호 보장의 제한을 금한 권리 장전이 1791년에 채택되었다. 1800년에는 수도를 다시 워싱턴 D.C.로 옮겼다.
노예제에 대한 입장은 유동적이었는데, 미국 헌법 1조 9항에서는 아프리카 노예 무역 폐지를 20년간 유보했다. 북부 주에서는 1780년에서 1804년 사이에 노예제를 폐지했으나, 남부 주에서는 "특별한 관습"(peculiar institution)을 옹호하며 노예주로 남았다. 1800년경에 시작된 제2차 대각성 운동으로 복음주의가 노예 제도 폐지 운동을 비롯한 다양한 사회 개혁 운동의 원동력이 되었다.
미국은 서부로 영토를 확장하며 아메리카 인디언 전쟁이 일어났으며 인디언 제거 정책을 펴서 원주민들은 많은 사상자를 내고 인디언 보호구역으로 보내졌다. 1803년 토머스 제퍼슨 대통령이 프랑스로부터 루이지애나를 매입하여 국토의 면적은 거의 두배로 늘어났다. 여러 이유로 영국과 벌인 1812년 전쟁은 승패가 분명히 갈리지는 않았으나 미국의 민족주의를 강화시켰다. 미국 군대가 플로리다를 수 차례 침입하면서 1819년에 미국은 스페인에게서 플로리다와 여타 멕시코 만 연안 영토를 할양받게 된다.(아담스-오니스 조약) 1845년에 미국은 텍사스 공화국을 병합하였다. "명백한 운명"이라는 관념이 대중화 되는 것도 바로 이 시기였다.[18] 1846년 영국과 오리건 조약을 맺으면서 미국은 오늘날의 미국 북서부를 통치하게 된다. 멕시코-미국 전쟁에서 미국이 승리하면서 1848년에 캘리포니아와 오늘날의 미국 남서부를 할양받게 되었다. 1848년~49년의 캘리포니아 골드 러시로 서부 이주가 가속화되었다. 새로이 철도가 부설되면서 정착민들의 이동이 쉬워지고, 원주민과의 갈등도 커졌다. 50년 만에 4천만 마리 이상의 아메리카들소(버팔로)가 가죽과 고기를 얻거나 철도망 확대의 편의를 위해 학살당했다. 평원 인디언들의 자원이던 버팔로를 잃어 원주민 문화는 큰 타격을 입었다.
내전과 산업화
노예주와 자유주는 주와 연방 정부간의 관계를 놓고 갈등했으며, 신설 주의 노예제 시행 여부를 놓고 폭력 사태까지 벌어졌다. 그런 가운데, 주로 노예제 반대 입장이었던 공화당 후보 에이브러햄 링컨이 1860년에 대통령으로 선출되었다. 링컨의 취임에 앞서 일곱 노예주는 분리 독립을 선언하여 남부 연합을 결성했다. (연방 정부는 이를 불법으로 규정하였다.) 남부 연합이 섬터 요새를 공격하면서 미국 내전이 발발하였으며, 노예주 네곳이 남부 연합에 추가로 가입했다. 이에 링컨은 노예 해방 선언에서 남부 연합 노예의 자유 선언을 했다. 1865년에 남부 맹방이 패배하여 미국 헌법은 세차례 수정되어 당시 노예 신분이었던 아프리카 노예 4백만여 명이 자유를 보장받았으며,[19] 미국 시민이 되었고, 투표권을 부여받았다. 이 전쟁으로 연방 정부의 권력이 크게 증대되었다.[20]
링컨이 암살당하면서, 새로이 해방된 노예들의 권리를 보장하는 한편 남부 주를 재건하고 재통합하는 목표로 했던 공화당의 재건 정책이 급진화되었다. 1876년 대선 논쟁이 1877년의 합의로 해결되면서 미국의 재건 정책이 종식되었으며, 이내 짐 크로 법으로 수많은 아프리카계 미국 시민들이 시민권을 박탈당하였다. 북부에서는 도시화가 이루어지고 남유럽과 동유럽에서 전례없이 많은 이민자들이 유입되면서 미국의 산업화가 더욱 진전하였다. 1929년까지 지속된 이민 물결로 노동력이 유입되고 미국 문화가 변화하였다. 국가 기반 시설이 발전하면서 경제는 호황을 이루게되었다. 1867년 러시아에서 알래스카를 매입하면서 미국 본토의 영토 확장이 일단락되었다. 영토를 잃은 원주민이 1890년 운디드 니 학살로 최후의 대규모 무장 투쟁을 벌였으나 실패했다. 1893년, 태평양 하와이 왕국의 왕정이 미국 거류민들이 주동한 정변으로 전복되자, 1898년에 미국은 이 군도를 병합했다. 같은 해 미국-스페인 전쟁에서 승리하면서 미국은 강대국의 면모를 보이게 되었으며, 푸에르토리코, 괌, 필리핀을 병합했다.[21] (50여년 뒤에 필리핀은 미국에서 독립했으나, 푸에르토리코와 괌은 미국 영토로 남아있다.)
세계 대전과 대공황
1914년에 제1차 세계 대전이 발발할 때 미국은 중립 태도를 취했다. 미국인 대부분은 영국과 프랑스를 동정했으나, 많은 이들이 참전에 반대했다.[22] 1917년 미국은 결국 연합군으로 참전하면서 전황은 동맹국에 불리하게 전개된다. 전후 상원은 국제 연맹을 창설한 베르사유 조약에 비준하지 않았다. 미국은 고립주의에 경도된 일방주의 정책을 추구했다.[23] 1920년대에 여권 신장 운동은 여성 투표권을 보장하도록 헌법이 수정되는 성과를 얻었다. 번영을 구가하던 광란의 20년대(Roaring Twenties)는 대공황의 단초가 된 월 가의 대폭락 즉 검은 목요일로 끝나버렸다. 1932년에 대통령에 당선된 프랭클린 D. 루즈벨트는 경제 위기에 맞서 수정자본주의인 뉴 딜 정책으로 대응하였다. 하지만 1930년대 중반, 중부 지역에 극심한 사막화인 더스트 볼(Dust Bowl) 현상으로 수많은 농촌이 빈곤에 빠졌으며 서부로 이주하게 되었다.
제2차 세계 대전 초기에 미국은 중립을 유지하다, 1939년 9월에 나치 독일이 폴란드를 침공하면서 1941년 3월 무기대여법을 통해 연합국에 물자를 제공하기 시작했다. 1941년 12월 7일, 일본이 진주만을 급습하면서 미국은 추축국에 대항하여 연합군에 참전했다. 참전으로 미국의 자본 투자와 산업 능력이 높아졌다. 주요 참전국 가운데 유일하게 미국은 전쟁 덕분에 부유해진 나라였다.[24] 연합국의 브레튼 우즈 회의와 얄타 회담으로 미국과 소비에트 연방이 세계 정치의 중심에 서게 되는 새로운 세계를 구축하게 되었다. 유럽 전선에서 연합국이 승리하자 1945년 샌프란시스코 회의에서 전후에 발효한 유엔 헌장이 도출되었다.[25] 처음으로 핵무기를 개발한 미국은 그 해 8월에 일본 히로시마와 나가사키에 핵무기를 처음으로 사용했다. 1945년 9월 2일 일본이 항복하면서 전쟁이 끝났다.[26]
냉전, 저항 정치, 사회 변혁
제2차 세계 대전 이후 냉전기에 미국과 소련은 각자 북대서양 조약기구와 바르샤바 조약기구를 통하여 유럽의 군사 현안을 주도하며 패권을 놓고 경쟁했다. 미국은 자유민주주의와 자본주의 법치주의를 발전시켰으며, 소련은 전체주의와 공산주의 사회주의 관치경제를 이끌어갔다. 양자는 대리전을 통하여 전쟁을 벌이고 여러 독재 정권을 지원했다. 1950~53년의 한국 전쟁에서 미군은 중국 공산군과 싸웠다. 하원 반미 활동 위원회(HUAC)에서는 좌익 단체의 국가 전복 혐의를 캐내는 조사 활동을 벌였으며, 매카시 상원 의원은 반공 정서의 중심 인물이 되었다.
1961년 소련이 최초의 유인 우주선을 쏘아올리면서, 존 F. 케네디 대통령은 미국이 최초로 "달에 사람을 보내겠다"는 계획을 내세워 1969년에 기어이 실현했다. 또 케네디는 쿠바에서 소련군과 핵 위기에 직면하기도 하였다. 그런 가운데 미국 경제는 계속 발전했다.
마틴 루서 킹 2세의 비폭력 저항주의와 맬컴 엑스와 스토클리 카마이클이 주도한 과격주의로 아프리카계 미국인들은 흑인 인권운동을 전개했다. 1963년에 케네디가 암살당한 뒤, 린든 B. 존슨 대통령이 1964년 민권법, 1965년 투표권법을 통과시켜 흑인의 민권이 성장했다. 하지만 존 F. 케네디 대통령과 여러 인권운동 지도자들이 암살 당하는 등, 사회가 혼란스러웠다. 후임 대통령인 리처드 닉슨은 동남 아시아로 대리전을 확대했다가 베트남 전쟁에서 패배했다. 그런 가운데 반문화 운동이 반전 운동과 흑인 민족주의, 성 혁명의 영향을 받아 널리 성장했다. 1960년대는 각종 암살사건, 흑인 민족주의, 여성해방운동, 히피 문화, 동성애문화가 등장한 변혁과 격동의 시기였다.
워터게이트 사건의 불명예로 1974년에 닉슨은 탄핵되는 것을 피하고자 최초의 사임 대통령이 되었으며 제럴드 포드 부통령이 대통령직을 승계하였다. 1970년대 말 지미 카터 행정부 시대에는 스태그플레이션과 이란 인질 사건이 중요한 사건이었다. 1980년에 로널드 레이건이 대통령에 당선되면서 미국 정치가 우익화되고 대중들도 1960년대의 히피문화에서 보수주의로 변화하였다. 레이건 2기 정부 때는 이란-콘트라 사건이 일어나고, 소련과 괄목할만한 관계 증진을 이루기도 하였다. 이후 소련이 붕괴하면서 냉전이 종식되었다.
오늘날
조지 H. W. 부시 대통령 시기에 미국은 유엔을 주도하여, 걸프 전쟁의 승인을 받아냈다. 빌 클린턴 대통령 시대에 현대 미국 역사상 최장 기간의 경제 성장(1991년 3월 ~ 2001년 3월)이 이루어졌으나, 닷컴 거품 현상이 생겼다.[27] 르윈스키 스캔들로 인해 1998년에 빌 클린턴이 탄핵받았으나, 끝내 임기를 지켰다. 2000년 대선에서 조지 H. W. 부시의 아들 조지 W. 부시가 연방대법원의 결정에 따라 근소한 표차로 당선되었다.
2001년 9월 11일, 알 카이다 테러범들이 뉴욕 시의 세계 무역 센터와 미국 국방부 펜타곤에 테러 공격을 감행하여, 3천 여명의 사람들이 목숨을 잃었다. 부시 행정부는 이에 대응하여 "대테러 전쟁"을 개시했다. 2001년 말, 미군은 아프가니스탄을 침공하여 탈레반 정권과 알 카에다 훈련소를 제거했고 2002년, 이라크에 정권 교체 압박을 가했다.[28] 부시는 2003년에 이라크를 선제 공격했으며, 과거 미국의 동맹자였던 독재자 사담 후세인을 제거했다. 2005년 허리케인 카트리나가 발생하여 멕시코 만 연안 지대 상당 지역을 심각하게 파괴했으며, 대도시 뉴올리언스를 황폐화했다. 2008년 11월 4일, 세계적인 경제 침체 속에서 버락 오바마가 최초의 흑인 대통령으로 선출되었다. 이후 경기 침체는 계속되었으나, 대공황 수준은 아니었고, 2011년 이후 우려와 기대 속 회복 단계에 있다. 2017년에는 도널드 존 트럼프가 대통령으로 당선되었다.
지리, 기후, 자연 환경
미국 본토의 육지 면적은 약 7억7천만 헥타르다. 본토와 떨어진 알래스카는 미국에서 가장 넓은 주로, 면적이 1억5천만 헥타르다. 북아메리카 대륙 남서쪽으로 태평양 한 가운데에 자리한 군도인 하와이 주 면적은 1백6십만 헥타르를 겨우 넘는 정도다.[29] 미국은 러시아와 캐나다 (또는 중국) 다음으로 세계에서 가장 넓은 나라 3, 4위인데, 중국과 비슷한 수준이다. 미국과 중국의 면적 순위는 중국-인도간의 영토 분쟁 지역 및 미국 총 면적의 계산 방식에 따라 달라진다. 미국의 면적을 놓고 CIA 월드 팩트북에서는 9,826,676 km2,[30] 유엔 통계국에서는 9,629,091 km2,[31] 브리태니커 사전에서는 9,522,055 km2[32] 으로 쓰고 있다. 육지 면적만 따지자면 미국은 러시아, 중국과 캐나다 다음인 4위이고, 오스트레일리아보다 약간 크다.[33]
대서양의 해안 평원에서 내륙으로 가면 피드먼트의 낙엽수 삼림과 구릉 지대로 이어진다. 애팔래치아 산맥은 동부 연안과 오대호, 중서부를 가른다. 세계에서 네 번째로 긴 수계인 미시시피 강-미주리 강은 국토의 심장부를 남북으로 가로지른다. 평평하고 비옥한 대초원을 이루는 대평원은 남동부의 고원 지역까지 서쪽으로 뻗어있다. 대평원 서쪽 끝에 있는 로키 산맥은 국토를 남북으로 가로지르며, 콜로라도에서는 고도가 4,300m까지 높아지기도 한다. 더 서쪽으로 가면 로키 산맥의 대분지(그레이트베이슨)와 모하비 사막 등 사막이 있다. 시에라네바다 산맥과 캐스케이드 산맥은 태평양 연안과 가까이 뻗어있다. 알래스카에 있는 고도 6,194m의 매킨리 산은 미국과 북아메리카 전체에서 가장 높은 산이다. 알래스카의 알렉산더 제도나 알류샨 제도, 하와이의 화산 등 활화산도 흔하다. 로키 산맥 옐로스톤 국립 공원 밑에 있는 초화산은 북아메리카 대륙에서 가장 큰 화산체다.[34]
광대한 영토에 다양한 지리 환경을 지닌 미국에서는 거의 모든 기후 형태를 찾아 볼 수 있다. 서경 100도선 동쪽으로는 기후대가 북쪽의 습윤 대륙성 기후에서 남쪽의 온대 습윤 기후에 이른다. 플로리다 남쪽 끝 지역은 하와이처럼 열대 기후이다. 서경 100도선 서쪽의 대평원 지역은 반건조 기후다. 서부 산맥 상당 지역은 고산 기후를 나타낸다. 남서부의 사막과 대분지의 기후는 건조하며, 캘리포니아 해안은 지중해성 기후가 나타나고, 오리건과 워싱턴주 및 알래스카 남부는 서안 해양성 기후를 보인다. 알래스카 대부분은 아극 기후나 극기후다. 극단적인 기후 현상도 종종 일어나는데, 멕시코 만과 접한 주에는 허리케인이 곧잘 발생하며, 세계 토네이도의 대부분도 미국 내, 특히 중서부 토네이도 길목(Tornado Alley)에서 주로 일어난다.[35]
미국의 생태는 최다 생물다양성 국가(megadiverse countries)로 여겨진다. 미국 본토와 알래스카에는 관다발식물 17,000여 종이 있으며, 하와이에서는 속씨식물 1,800 종 이상이 발견되는데, 이들 가운데 본토에서도 서식하는 종은 적은 수에 불과하다.[36] 미국은 포유류 400종, 조류 750종, 파충류 및 양서류 500종 이상이 서식하는 땅이다.[37] 곤충은 91,000종 이상이 서식한다고 한다.[38] 1973년의 멸종 위기종 법안은 위기종과 취약종 및 이들의 서식지를 보호하는데, 미국 어류 및 야생생물 보호국에서 이들 서식지를 감시한다. 미국에는 58개의 국립 공원이 있으며, 그 밖에도 연방 차원에서 관리하는 공원, 숲, 야생 지역이 수백곳 있다.[39] 미국 정부는 국토 육지 중 총 28.8%를 소유하고 있다.[40] 이 가운데 대부분의 지역은 보호 구역이며, 일부 지역은 원유 및 가스 시추, 광산 채굴, 벌목, 목축을 위해 임차한 곳도 있으며, 군사 목적으로는 2.4%가 이용되고 있다.[40]
환경문제
1970년대 이후로 환경 문제가 국가 의제에 계속해서 제기되어왔다. 원료와 원자력 에너지에 관한 논쟁, 공기와 수질 오염, 야생동물과 산림 벌채,[41][42] 지구 온난화에 대한 국제적 대응 등 환경갈등이 계속되었다.[43][44] 환경문제는 대부분 연방정부와 국가기관이 참여하고있다. 이렇게 환경문제가 제기되면서 가장 눈에 잘 띄는 점은 1970년대 대통령명으로 만들어진 미국 환경보호국 (ERA)이다.[45] 1964년 정부가 소유하고있는 토지 중 황무지를 사용하는 일환으로 원시지역 보호법을 만들었다.[46] 1973년 절멸 위기종 보호법은 멸종 위기에 처한 동식물들을 보호하기위해 만들어졌고, 미국 어류 및 야생동물관리국에서 관리한다.
인구 통계
인종과 언어
미국은 지구상의 모든 인종과 민족이 뒤섞여있는 세계 최대의 다민족국가다. 2000년 조사된 인구 분포도를 보면 백인</b>이 전체인구의 75.1~81.1%, 흑인</b>이 약 12.3~12.6%, 아시아계 3.7~3.9%, 미국원주민</b>이 0.8%다. 백색인종이 압도적으로 많으며 그중에서도 영국계, 독일계, 아일랜드계 등이 가장 많다.
미국의 발전은 그 역사를 통해서 유럽·아프리카·아시아로부터의 이민에 의해서 유지되어 왔는데, 오늘날 이들 민족은 융합하여 새로운 아메리카 민족을 구성해 가고 있다. 그러나 같은 영어를 사용하고, 같은 미국적인 생활을 영위한다는 점을 제외하면, 외견상 분명히 몇 인종으로 나눌 수 있다. 유럽 백인이 다수를 차지하며, 그중에서도 출신 국가별로는 영국계, 독일계, 아일랜드계 등이 가장 많다. 최초로 이주해 온 것은 영국인과 네덜란드인이며, 독립할 때까지는 이 밖에 독일인 등이 추가되었지만 중심은 영국인이었으므로 현재도 미국에서는 영어가 일상어다. 미국에서 사용하는 영어 (미국 영어)는 표준 영국 영어와 어휘나 문법 등에서 많은 차이를 보인다. 남북전쟁 이후는 종래의 북유럽계의 이민에 비하여 이탈리아인·슬라브인 등의 남유럽계·동유럽계 이주자의 비중이 높아지고, 20세기 초에는 전 이민의 8할을 이들 이민이 차지하였다. 이민을 가장 많이 온 때는 1880년부터 제1차 세계대전까지이며, 그 전후를 포함하여 1820년부터 1961년까지의 4,200만 명이 입국했다. 또한 19세기 말부터는 중국인·일본인·한국인·필리핀인·멕시코인·쿠바인·푸에르토리코인 등이 증가하고 있어, 이들을 총칭하여 신이민이라고도 한다. 마찬가지로 19세기 이래 이주하게 된 유대인은 특이한 존재로서, 현재 전 세계 1,500만의 유대인 중 약 550만이 미국에 거주하고 있는데, 그들 중에는 자산가나 훌륭한 학자가 많고, 각지에 집단적인 생활을 하며, 미국 사회에서는 무시하지 못할 세력을 가지고 있다.
비(非)백인 가운데 가장 큰 인구를 가진 소수민족은 히스패닉으로, 라틴 아메리카로부터의 이민 유입 및 높은 출산율 등으로 오랫동안 가장 많은 소수 집단이었던 아프리카계 미국인을 넘어섰다. 또한 서부 지역에 살고 있는 상당수 히스패닉계 주민은 원래 멕시코 영토였던 그들의 거주지가 미국에 병합됨으로써 자동적으로 미국인이 되기도 했다.
흑인은 전체 인구의 약 12%를 차지한다. 아시아계 이민은 점점 증가하는 추세이나 캘리포니아주를 제외한 대부분의 주에서 아직 주류는 아니다. 한국계 주민들은 약 2백만명, 중국인은 약 3백만명, 일본인은 약 80만명 정도로 대부분이 캘리포니아주를 중심으로한 서부 지역에 많다.
미국 남부에는 흑인이 밀집해있으며, 이 지역의 백인은 주로 영국계, 독일계, 아일랜드계다. 동북부 지역의 인종 구성은 매우 다양하다. 중북부 지역은 독일계, 아일랜드계, 동유럽계, 북유럽계 백인이, 남서부는 히스패닉이, 서부는 히스패닉과 아시아계가 주류를 이루고 있다.
미국에는 전 세계 거의 모든 국가 출신이 모여 살고 있다고 해도 과언이 아니다. 미국의 공용어는 사실상 영어 (미국 영어)이나, 히스패닉계 인구가 많은 서부 지역에서는 스페인어를, 특정 민족의 인구가 많은 구역은 그 민족의 언어를 공공 표지판 등에 병기하기도 한다.
미국 내 아메리카 원주민들은 오늘날 아메리카 대륙에 해당하는 영토내에 거주하고 있는 원주민, 그리고 이들의 현대 후손이다. 이 표현은 광범위한 부족, 국가, 민족을 포괄하며 이 중 많은 무리들은 오늘날에 정치적 공동체로 살아남았다.
도시와 지역
미국은 일찍이 도시화된 국가로, 도시별 특성과 문화적 차이가 존재한다. 각 지역은 자원, 자본, 노동력 모두 충족되어야 발전이 이루어졌고, 이는 처음으로 북동부가 달성했다. 이후 기후와 자연경관이 발전에 굉장히 중요하게 작용해서, 이를 가진 서부가 각종 산업의 꽃을 피웠으며, 최근 남부 및 미국 남서부가 미국 경제를 뒷받침하고있다. 북동부와 버지니아 지역은 초기 미국 역사가 시작된 곳으로, 현재까지도 각종 산업의 중심지이고, 서부는 세계대전과 골드러시 이후 광공업과 군사업을 바탕으로 급격히 발전하다가 영화산업과 첨단산업 그리고 농업이 뒤이어 발전해, 현재 북동부 지역의 경제력과 필적한다. 남부는 남북전쟁 이전에는 소수 영국계 백인 귀족이 플랜테이션을 바탕으로 목화산업과 담배산업으로 성장했으나, 남북전쟁 이후 쇠퇴하고, 최근 들어 제조업과 각종 서비스업이 발전하고 있다.
20세기까지 세계의 경제, 문화를 주도했던 미국 북동부 지역의 뉴욕과 보스턴은 미국 내에서도 가장 밀집되고 고층건물이 많은 메갈로폴리스를 구성하며, 근교에는 많은 산업도시와 주거지역이 형성되어있다. 뉴욕은 세계 금융, 문화, 예술의 중심지로 일찍이 발전했으며, 보스턴 또한 우수한 교육을 바탕으로 금융업이 매우 발달했다. 내륙으로는 미국 최초의 계획도시이자 건국 초기 중심지이었던 필라델피아와 철강도시 피츠버그가 위치해있다. 이들 내륙 지역은 러스트 벨트에 속해, 근래 미국 제조업의 쇠락으로 불경기의 진원지에 서있다.
뛰어난 지리적 조건과 기후, 풍부한 노동력을 바탕으로 20세기부터 급격히 발전한 캘리포니아주는 최남단에 샌디에이고가, 북쪽으로 해안선을 따라 로스앤젤레스, 샌프란시스코가 위치해있으며 내륙으로 리버사이드와 새크라멘토와 같은 대도시가 있다. 이들 도시는 연중 온화하고 건조한 기후를 바탕으로 많은 이민자를 받아들였으며, 현재 히스패닉과 아시아계 이민자가 백인과 함께 주류를 이루고있다. 로스앤젤레스는 영화와 연예, 오락산업이 특히 발달해 세계 대중문화를 주도하고 있고 뉴욕에 이어 인구가 가장 많다. 샌디에이고는 군수산업과 해양과학이 특화된 과학도시며, 샌프란시스코는 새너제이(San Jose)와 이어져 실리콘밸리를 이뤄 첨단산업을 이끌고 있는 도시다. 내륙 지역과 분지/계곡 지역은 농업이 발달했는데, 집산지인 베이커즈필드를 중심으로 광대한 과수원과 쌀 농장이 위치해 지역의 경제를 주도하고 있다.
미국 서부 지역은 캘리포니아주 외에도 워싱턴주의 시애틀, 네바다주의 라스베이거스, 오리건주의 포틀랜드, 콜로라도주의 덴버, 애리조나주의 피닉스 등이 위치한다. 시애틀은 항공산업과 선박업이, 라스베이거스는 오락과 관광업이, 포틀랜드는 임업이, 덴버는 로키 산맥 지방의 교통과 상업 중심지이자 요양지다.
이들 지역은 선 벨트에 속하며, 인종이 매우 다양하고 그 분포가 고르다. 스페인어를 많이 사용하는 히스패닉의 영향력이 매우 크다. 또한 한국인을 포함한 아시아계 이민자가 가장 많이 진출한 지역이기도 하다.
미국 중서부 지역은 오대호를 중심으로 시카고, 디트로이트, 클리블랜드, 밀워키, 버펄로 등의 대도시가 위치해있으며, 시카고는 상업과 금융업을 바탕으로 미국 제 2의 도시로 발전하였다. 자동차 산업의 중심지인 디트로이트는 현재 미국 내에서 가장 쇠퇴하는 도시 중 하나이기도하다. 이들 지역의 기후는 대체로 추워 스노벨트에 속하며, 20세기 후반에 들어 침체된 경제를 일컬어 러스트 벨트라고 불린다. 오대호와 미시시피 강을 중심으로한 교통이 매우 발달했고, 중공업과 과학이 매우 발달했다. 서쪽으로는 그레인 벨트라고 불리는 세계 최대의 곡물 지대가 있다.
미국 남동부 지역은 애틀란타, 뉴올리언스, 내슈빌, 샬럿, 버밍햄 등의 대도시가 있으나 도시화와 산업화가 늦은 지역이다. 최근 따뜻한 기후와 낮은 물가를 바탕으로 서남부 지역과 함께 선 벨트를 이루고있어, 인구가 증가하는 지역이다. 애틀란타는 상공업이, 재즈의 고향인 뉴올리언스는 미국의 대표적 항구도시이며 석유산업이 발달했고, 내슈빌은 음악(종교/컨트리)과 출판업이, 샬럿은 금융업이, 버밍햄은 제철업이 발달했다. 이들 지역은 흑인의 인구비가 높아 블랙 벨트로 불리며, 과거 흥했던 농업이 쇠퇴해 20세기 중반까지 산업이 발달하지 못했던 지역이나, 최근 서비스업과 제조업이 급격히 발전 중이다.
미국 중남부 지역에는 휴스턴, 댈러스, 포트워스, 샌안토니오, 오클라호마시티 등의 대도시가 있는데, 풍부한 자원과 멕시코와의 접근성으로, 최근 급격히 발전하는 지역이다. 휴스턴은 우주산업이, 댈러스는 석유산업과 서비스업이, 샌안토니오는 교육과 군사시설이 많다.
플로리다주는 남부에 속하고 아메리카 연합국에 가맹한 적도 있으나, 문화와 역사는 독립적인데, 히스패닉이 주류이고, 온화하고 강렬한 햇빛을 가져, 오렌지 등의 과수재배가 활발하고, 휴양지가 많다. 마이애미는 중남미와 미국을 잇는 거점도시로, 항구도시이자 관광도시다. 탬파 등의 산업 도시뿐만 아니라 해안가 전부가 관광도시로 이뤄져있다.
하와이주는 섬 지역으로, 독특한 풍토와 아름다운 자연경관을 바탕으로 관광업이 주된 산업으로 하고있다. 군사적 요점이기도 한 하와이는 아시아계 미국인이 가장 많은 지역이기도 하다.
알래스카주는 미국에서 가장 넓은데, 광활한 토지에 다이아몬드와 석유를 포함한 각종 광물자원을 가지고있다. 매우 추운 날씨로 인구는 적으나, 광공업과 관광업을 바탕으로 소득이 높다.
버지니아주, 메릴랜드주와 워싱턴 D.C.는 D.C를 중심으로한 정치와 첨단과학의 중심지역이다. 이들 지역은 비교적 소득이 높고, 군사와 행정기능이 발달했고 역사도 오래되었다. 여기에는 워싱턴 D.C.를 포함한 볼티모어 등의 도시가 위치해있다.
미국은 한국과 같은 광역시의 개념이 없기 때문에, 대도시와 주변 소도시들을 광역권으로 포함시켜 인구를 측정한다. 다음은 인구순으로 나열한 도시 목록이다.
[49]
국민성
다양하고 복잡한 국민성을 다음의 항목에 열거하였다.[50]
선택의 자유와 책임감: 사상적 자유와 소비 선택, 진로 선택 등의 자유는 완벽히 보장되며 그에 따른 책임감은 항상 따른다.
독립과 자립: 미국 부모의 자녀 교육의 최고 목표는 독립심을 길러주는 것으로, 어린이는 어릴 때부터 이를 기른다.
가치의 존중과 인간애 정신
민주주의와 타 문화에 대한 개방성
준법정신과 국가협력적 태도 및 애국심: 교통질서뿐만 아니라, 범법적 준법정신이 투철하고, 범죄자에 대한 자비는 없다. 감옥체계가 발달되었다.
가족 중심의 사회 그리고 높은 이혼율과 가족관계의 경제적 선택: 가족이 모든 개인의 중심에 있고 서로 의지하나, 경제적인 관점에서는 독립되어있고, 이에 따라 이혼이 쉽게 인정된다.
기독교 문화 속 휴일과 감사하는 태도: 추수감사절과 성탄절은 국가 최대 휴일이고 광범위한 일에 걸쳐 기독교 정신이 자리 잡고있다.
남녀평등과 개방적인 성문화: 남녀의 성적 역할은 최대한 효율적으로 이용하나, 성적 차이는 차별받지 않으며, 성문화가 개방적이다.
물질적 번영과 미국제일주의: 높은 국민 소득과 생활 수준이 미국 것이 제일이라는 안이한 태도를 만들기도 한다.
소비 생활과 사치성 문화, 대중 문화
미국의 이민 정책
미국은 이민의 국가이기 때문에 이민 정책은 국가의 기초를 설계하는 가장 중요한 정책 가운데 하나다. 초기에 미국은 경제발전을 위한 값싼 노동력을 얻기 위해 유색인 이민을 받아들였으나, 이미 일터에 뿌리를 내린 백인 노동자들의 기득권을 지키기 위해 시대에 따라 유색인 이민문호를 조절했다.
미국은 1850년 무렵부터 아시아계 이민을 받아들이기 시작하다가 이들의 영향력이 커질 조짐이 있자, 1882년 중국인 이민부터 금지시키더니 1924년 아시아계 이민을 완전히 금지시켰다. 당시 미국 식민지였던 필리핀은 여기에서 예외였다. 캘리포니아주는 이보다 앞선 1913년 외국인 토지소유 금지법을 제정해 외국인의 토지소유를 막았는데, 표적은 아시아계였다. 토지를 소유하면 자본을 축적할 수 있기 때문이었다. 이 법은 미국시민(미국 시민권을 소유한 자)이 될 자격이 없는 사람은 토지를 소유할 수 없도록 규정했는데 아시아계 이민 1세는 미국시민이 될 수 없었다.
그러다 2차 대전에서 중국과 연합국으로 싸우게 되자 중국에 이민문호를 개방한 것이 1943년, 인도가 1946년, 한국과 일본에 대해서는 1952년에 와서야 이민문호를 다시 열었다. 문호를 개방했다고 하지만 실제로 이민이 허용되는 숫자는 생색내기 수준이었다. 그렇지만 1952년 개정법으로 아시아 이민 1세도 미국시민이 될 수 있었다. 시민이 될 수 있다는 말은 투표권이 있다는 말로 크건 작건 정치적 목소리를 낼 수 있게 됐다는 것을 의미한다. 한국전쟁까지만 해도 미국은 이민의 국가이면서도 인종차별을 법적으로 인정하고 있었다.[51]
구체적으로 인종 문제가 사회적으로 개선되기 시작한 것은 1965년 이후 마틴 루서 킹 목사의 활약에 힘입은 바가 크다.
인종 문제
앵글로-색슨족(Saxons)을 중심으로 하는 유럽 북방계의 이주자들은 이주 시기가 빨랐다는 점도 있어 일찍이 융합하였으며, 현재 미국 사회의 주류를 형성하고 있다. 이에 대하여 19세기 후반 이후 이주한 신이민들은 일반적으로 신참자(新參者)로서 생활의 기반이 약한 데다가 유대인·아시아인 등은 인종·문화가 구(舊)이민과 이질적이어서 동화하기 어려우며, 배척을 당하는 일도 많았다. 따라서 그들은 집단적으로 거주하는 경향이 있고, 사회생활에서도 차별대우를 받는 일이 있다. 그러나 현재 인종문제로서 최대의 문제는 인구의 1할을 차지하는 흑인의 문제다. 식민지 시대에 아프리카로부터 노예로 팔려 온 그들은 해방 후 전국 어느 곳에나 거주하게 되었는데, 아직도 일부에선 교육·취직·거주 등의 분야에 불평등한 점이 남아 있고, 이에 항의하는 흑인의 행동도 차츰 격렬해지고 있어, 오늘날 미국 내에서 최대의 사회 문제로 되어 있다. 또한 푸에르토리코인은 뉴욕을 중심으로 하는 북부에 한정되어 있고 절대수도 많지는 않은데 신이민으로서 흑인과 함께 사회의 최하층을 형성하는 수가 많다. 그리고 빈곤으로 인해 그들의 생활상태는 차츰 사회문제화되어 가고 있다.
종교
메이플라워호를 타고 신앙의 자유를 찾아 영국에서 이민 온 개신교 신자들 즉, 청교도들은 초기에는 아메리카 토착민들의 전통종교를 배격했으며 , 같은 기독교 종파들인 성공회와 로마 가톨릭교회도 성공회 기도서 사용 금지, 성공회 신자 추방, 로마 가톨릭교회 신자 이민거부로 배척했다.
하지만 건국 후에는 헌법으로 종교의 자유를 인정했고, 다수의 인종·민족으로 구성된 나라라는 미국의 특징상 거의 모든 종류의 종교를 볼 수 있지만, 유럽에서 온 이민이 주체를 이루고 있기 때문에 기독교인이 압도적 다수를 차지한다. 그러나 주 1회 교회에 가는 사람은 점차 적어지고 있다. 개신교 신자가 다수며 그외 가톨릭교회 및 기타 다양한 종교가 있다. 또한 유대교도도 많아서 이스라엘의 인구보다도 더 많은 유대교도가 미국에 거주하고 있다. 신앙심도 미국인들은 매우 높아 신 또는 영혼의 존재를 믿는 비율이 94%에 달할만큼 기독교적인 국가라고 할 수 있다. 종교적인 이유로 가톨릭교회와 유대인을 공격했던 시기도 있었고, 존 F. 케네디외에는 가톨릭교회 신자가 대통령으로 선출되지 않았던것도 이와같은 배경 때문이다. 따라서 미국의 이스라엘 지원과 같이 종교나 민족이 미국의 외교 정책에 큰 영향을 끼치는 일도 적지 않다.
영국 종교개혁으로 성공회가 가톨릭교회에서 분리된 이후, 일부 칼뱅주의자들은 철저한 개혁을 요구했다. 이들은 성경에 언급되지 않은 전통들을 배척한 성경주의자들로서, 성공회를 개혁하고자 했다. 일부 청교도들은 네덜란드와 미국으로 이주했는데, 네덜란드에 이주한 ‘암스테르담 제2 영국교회 분리주의자 형제’들을 후에 침례교 또는 침례교인이라고 불렀다.
미국에 1620년 이주한 이들은 영국 플리머스 항을 떠나 메이플라워호에 탑승했는데, 본래 이들은 버지니아 식민지에 가고 싶어했다. 하지만 태풍을 만나면서 플리머스 정착지에 이주했다. 이 플리머스 정착지는 메사추세스 식민지에 흡수된다. 후에 이들을 일컬어 '필그림 파더스'라고 하게 되었으며, 종교의 자유를 찾아 개척되었다는 미국의 이미지의 대명사가 되었다. 하지만 미국이 청교도들에 의해 개척된 기독교 국가라는 주장에 대해서는 낭만적인 신화라는 설명도 있다. 그 실례로 개혁교회 목사인 마이클 호튼은 《미국제 복음주의를 경계하라》(나침반)에서 독립혁명으로 미국을 건설한 사람들이 기독교인들이 아니라 이신론자들이었음을 지적한다.
미국은 청교도들이 개척한 나라로서 초기 청교도 사회에서는 기독교인만 선거에 참여할 수 있었다. 물론 청교도들은 그리스도에 대한 확고한 신앙을 갖고 있었고, 청교도 목사들은 신자의 자녀에게만 세례를 집례했다. 그런데 이들은 다른 사상이나 종교를 다소 배격하는 경향이 있었으며, 실제로 로저 윌리엄스(Roger Williams) 前 성공회 사제는 제정분리사상 즉, 종교와 정치의 분리사상을 주장하여, 1635년 청교도 사회로부터 추방되었다.
로저는 아메리카 토착민들의 도움을 받아 매사추세츠주 남부에 정착하여 프로비던스(Providence, 현재 로드아일랜드)를 건설했다. 프로비던스는 종교의 자유를 존중했기 때문에, 앤 허친슨처럼 종교적 박해를 받던 사람의 안식처가 되었다. 앤 허친슨은 보스턴 주민이었는데, 창세기의 아브라함 이야기에 근거, 하나님이 자신에게 말씀하셨다고 주장했다. 또한 사도행전 18장 26절과 디도에게 보낸 편지 2장 3~5절에 근거, 여성도 교회에서 가르칠 수 있다고 보았는데, 이 때문에 재판을 받았다. 결국 그녀는 추방명령을 받았고, 프로비던스로 피신했다. 물론 로저는 앤 허친슨의 신앙을 존중하여 그녀를 프로비던스 일원으로 받아들였다. 이러한 로저 윌리엄의 종교적 자유 포용은 미국 민주주의의 모태가 되었다.
17세기 청교도 사회에서 기독교의 영향력이 줄어들자, 대다수 청교도들은 이것을 사탄의 세력에 의한 것으로 두려워했다. 이것은 1692년 살렘 마녀 사냥으로 폭발하는데, 메사추세스주 살렘에서 일부 시민들이 마녀로 몰려 고문치사 또는 사형당한 사건으로, 50000명 중 1명이 교수형을 당했다. 이 사건은 초기 청교도 사회의 오점 중 하나다.
근대 미국과 유럽교회에서는 자유주의 신학이 영향을 주었다. 자유주의 신학은 기독교 신학의 근대적 해석으로 기독교와 시대의 연관성을 추구했다.[52] 특히 미국교회의 자유주의 신학은 하나님 나라 즉, 하나님의 다스림의 윤리성을 강조한 사회복음주의가 등장하는 등 기독교인의 사회참여를 강조하는 성향을 보였고, 미국 성공회, 감리교, 교회들이 자유주의 신학을 따르고 있었을 정도로 큰 영향력을 갖고 있었다.(장로교는 뉴욕 유니온을 중심으로 한 축을 형성하였을 뿐 여전히 정통 칼뱅주의가 주류였다.)[53] 이에 대한 반동으로 미국 보수 기독교계에서는 기독교 근본주의(The Fundamentalism)를 주장하였다. 근본주의 신학은 일부 감리교회와 극소수의 장로교회(예:칼 매킨타이어)와 절대다수의 침례교회에서 영향력을 보였는데, 1915년 출판된 《근본》이라는 소책자에서 그 이름이 유래한다.[54] 예수의 동정녀 탄생, 예수의 신성, 예수의 대속적 죽음, 예수의 재림, 축자영감설에 근거한 성경무오설이 근본주의의 교리적인 특징이며, 예수를 믿지 않는 다른 종교인들은 심판으로 멸망한다는 구원관, 음주나 흡연에 반대하는 종교적인 금욕주의,[55] 신학 교육과 자연과학에 대한 거부도 근본주의의 특징이다.[56][57] 이들 근본주의자들은 조선에서의 개신교 선교를 했기 때문에, 한국 개신교회는 근본주의의 영향을 많이 받았다.[58]
현재 미국에서 가장 압도적인 종교는 기독교이며, 70.6%가 기독교인이다. 이 중에서 개신교 신자는 46.5%며, 성공회, 침례교, 감리교, 장로교, 오순절교회, 그리스도의 교회, 루터교회, 개혁교회 등의 다양한 교파가 있다. 이중 그리스도의 교회는 미국 교회에서 19세기 소위 환원운동이라는 종교운동으로 발생한 자생적인 교파다. 가톨릭교회는 20.8%로 단일 교단으로는 최대 규모다. 미국 정교회는 3%다.[59] 최근 들어 다소 감소하는 경향이 있긴 하지만, 미국에서는 대통령 취임식이나 학교 졸업식에 개신교 목사가 기도를 할 정도로 개신교회의 영향력이 강하다.
한편, 미국 가톨릭교회 내 일부 보수주의 법조계 인사들은 보수 정치계와 관계를 맺고 있다. 20세기 초에야 차별이 완화된 미국 가톨릭 신자들에게 법조계는 유일한 출세의 수단이었기 때문에, 현재 미국 법조계내 보수주의 대변자들은 가톨릭 신자들인데, 2005년 감리교 신자인 조지 W. 부시 대통령이 독실한 가톨릭 신자 존 로버츠를 대법원장으로 지명한 데 이어, 또 다시 보수 가톨릭 신자 새뮤얼 얼리토를 대법관으로 추천하는 등 미국 보수 로마 가톨릭과 보수적 복음주의간의 연대가 시도되고 있다.[60]
그 외 미국 기독교 교파로는 미국 성공회(Episcopal Church of USA, ECUSA)가 있는데, 청교도들이 미국을 개척한 시기에는 성공회 기도서 사용금지, 성공회 신자 추방 등의 탄압을 받았으나, 종교의 자유가 존중되면서 일부 주에서 뿌리내리기 시작했다.[61] 현재 미국 성공회 관구장 즉, 미국 성공회를 대표하는 지도자는 얼 쇼리 주교(1957년생)다.
정치
미합중국은 1776년 성립되어, 전 세계에서 현존하는 가장 오래된 연방 국가다. 미국은 "법에 의하여 소수자의 권리를 보호하여, 다수결의 원칙을 조정하는" 대의 민주주의 입헌 공화국이다. 미국 정부는 미국 최상위 법전인 헌법에 규정된 견제와 균형 체제에 따라 통제된다. 미국의 연방 제도에서 시민은 보통 세 단계의 정부 즉 연방, 주, 지역 단위에 속한다. 미국 헌법은 연방 정부의 권한에 관한 것을 구성 주에서 위임받았는데, 그 가운데 국방·외교 정책·대외 무역의 조정 기능, 통화, 최고 법 집행기능, 주간 통상의 조정, 이민 등은 연방정부의 가장 중요한 책임권에 속한다. 주 정부의 주요 기능은 교육, 농업, 자연보호, 고속도로 관리, 차량 감독, 공공안녕, 교도행정, 주내 통상의 조정, 교육·보건·복지 정책의 시행 등이다. 지역 정부의 업무는 보통 각 군과 시 정부에 나눠 맡기고 있다. 거의 모든 경우에 행정부와 입법부 공무원은 구역별로 시민의 다수 투표에 따라 선출된다. 연방 차원의 비례대표제는 없으며, 하위 정부 단위에서도 이 제도는 드물다.
섬네일|250px|왼쪽|백악관 남쪽 정면. 미국 대통령의 관저이다.
미국의 정치는 다른 나라와 비교하여 볼 때 특이한 측면들을 지니고 있다. 이러한 특성들은 주로 정치제도나 정치행동의 측면에서 발견될 수 있으며, 이는 곧 정치문화와 연결되어 있다. 미국의 정치문화는 미국인들의 정치적 성향에 중추적인 역할을 담당하고 있다. 가브리엘 앨몬드(Gabriel A. Almond)가 지적하였듯이 미국의 정치문화는 동질적이고 세속적이다. 인종의 도가니라고 불리는 미국에서는 인종뿐만 아니라 종교·문화·경제 등에 걸쳐서 차이가 크며 시민의 이해(利害)도 대립하기 쉽다. 따라서 식민지 시대부터 정치의 목표는 항상 현실적이며, 동의에 입각한 이해관계의 조정이 이루어졌다. 미국의 정치문화는 많은 가치가 복합된 정치문화인 동시에, 합리적이고 타산적이며, 경험적인 정치문화이다. 때문에 미국의 정치무대는 마치 혼잡한 분위기 속에서 거래가 이루어지고 있는 자유시장을 방불케 한다. 미국에서는 자유로운 개인의 정치 참여 원칙이 관철되어 왔다.
제도적인 측면에서 볼 때, 미국은 3권분립을 엄격히 고수하고, 독립국에 가까운 주(州)제도를 채용하여 지역의 자주성을 존중하고 있는 것도 이와 같은 역사적 경위에 의한 것이다. 그러나 형태적인 측면에서 보면, 이 분립된 3권간에는 권력의 중복현상이 일어나고 있다. 다시 말하면 미국의 정치체제 간에는 행정부·입법부·사법부가 중복되는 역할을 담당하는 경우가 흔히 있다. 연방제도를 채택하고 있는 미국의 정부는 구성주정부가 연방정부에 위임하는 권한을 헌법에 명시하고 있으며, 그 외의 권한은 국민과 50개의 주가 보유하고 있다. 50개주는 연방 정부와 마찬가지로 주 정부도 행정부, 입법부, 사법부 3부로 구성되어 있으며, 주 각부는 연방 정부의 각부와 동등한 기능 및 영역을 지닌다. 각 주의 행정 수반은 주지사다. 연방정부와 주정부간의 권력의 분리에도 불구하고, 양자 간에는 권력 분포와 행사에 있어서 중복현상과 마찰현상이 나타나고 있다. 20세기적인 상황이기는 하지만, 미국도 행정부의 권력이 비대해짐에 따라 의회의 권한은 상대적으로 약화되고 있다. 미국 정치에서 의회가 차지하는 위치나 역할은 매우 중요하며, 또한 강력하다. 단지 시대적인 차원에서 행정부의 권한이 강화된 반면, 의회의 권한은 상대적으로 약화되었을 뿐이다. 미국은 50개주에 포함되지 않는 괌, 북마리아나제도 등의 속령 등 해외영토를 보유하고 있다. 미국 대통령은 국가 군대 최고 통수권자의 직함을 가지며, 국방 장관과 합동 참모총장을 임명한다. 미국 국방부는 육군, 해군, 해병대, 공군을 비롯한 군 전체를 총괄한다. 해안 경비대의 경우 평화시에는 국토안보부에서, 전시에는 미 해군에서 관할한다.
국방
미국은 세계 군사력 순위 1위 강국이다. 라이벌인 소련과 양자체제를 유지하다가, 소련이 붕괴 되므로 미국은 독자체제로 세계에 막강한 영향력을 행사하고 있다.
대통령은 국가의 군대 총사령관 지위를 가지고 있고, 국방부 장관과 미국 합동참모본부를 임명 할 수 있다. 미국 국방부는 육군, 해군, 공군, 해병대를 포함한 군대를 통솔한다. 해안경비대는 평상시에는 미국 국토안보부가, 전쟁 상황에는 미 해군에서 통솔한다. 2008년 현역으로 있는 군인이 140만 명을 넘겼다. 예비군과 주방위군까지 합치면 230만 명이 넘는다. 또한 국방부는 계약직을 포함하지 않은 민간인 70만 명을 고용하고있다.[62]
평상시에는 모병제지만, 전시 상황에서는 의무 징병 등록제를 통해 대부분 징병제로 뽑는다.[63] [64] 미국 군대는 공군의 신속한 수송기, 해군의 11대 현역 항공모함, 해병 원정부대 해군 함대사령부와 태평양 함대를 통해 빠르게 투입 할 수도 있다. 또한 해외에 865개의 해외 주둔 기지를 두고있고,[65] 25개 국가에는 미군을 주둔시키고있다.[66] 이러한 세계적 규모의 주둔군은 미국 "제국의 기반"이라고 일부 학자들은 말한다.[67]
2011년 총 국방비 지출은 7,000억 달러 이상인데, 이는 세계 국방비의 41%며 상위 14개 국가의 국방비를 합친 것보다 더 많은 수치다. 미군 국방비는 GDP 전체의 4.7%로, 상위 15개 국가 중 사우디아라비아 다음으로 두 번째로 높은 수치다.[68] CIA에 따르면 2012년 GDP 대비 미국 국방비 지출은 세계에서 23번째라고한다.[69] 미국 국방비는 냉전 시대 이후 최근 수 십년간 계속해서 감소하고 있는데, 1953년 전체 GDP의 14.2%, 1954년 연방비 69.5%를 맡은 것에 비해 2011년에는 GDP의 4.7%, 연방비는 18.8%로 감소했다.[70]
2012년 국방비 예산은 2011년보다 4.2% 증가한 5,530억 달러로 이라크와 아프가니스탄 군사작전때문에 1,180억 달러가 추가되었다.[71] 2011년 12월에는 이라크에 마지막 미군을 보냈다.[72] 이라크 전쟁 중 미군 4,484명이 사망했다.[73] 2012년 4월에는 약 9만 명의 미군이 아프가니스탄에 파병되었다.[74] 2013년 11월 8일까지 아프가니스탄 전쟁 중 2,285명이 사망했다.[75]
경제
미국의 경제 체제는 민주주의적 혼합 경제로, 풍부한 천연 자원을 보유하고 있으며, 기반 시설이 잘 갖추어져 있고 높은 생산성을 누리고 있다.[82] 미국이 부유한 경제를 이룩한 것은 풍부한 인적·물적 자원의 존재와, 기술혁신이 뒷받침된 국내 산업이나 해외에서의 활발한 투자활동으로 대표되는 고도의 자본주의 체제에 의한 것이다.[83]국제통화기금(IMF)에 따르면, 미국의 국내총생산은 20조 4128억 달러로, 시장 환율로 세계총생산(GWP)의 23%, 구매력 평가(PPP) 대비 세계총생산의 약 21%를 차지한다고 한다.[4] 미국의 GDP는 세계 최대 규모며, 1인당 명목 GDP 9위, 구매력 평가 1인당 GDP 10위다.[4]
미국은 세계 최대 재화 수입국이며, 수출 규모는 세계 1위인데 1인당 수입액은 비교적 낮다. 주요 무역 상대국으로는 캐나다, 중국, 멕시코, 일본, 독일이 있다.[84] 2007년, 자동차는 주요 수출입 품목이었다.[85] 중국은 미국 공공 채무를 가장 많이 보유한 해외 채권국이다.[86] 약 6년간 성장하던 미국 경제는 2007년 12월부터 침체기를 맞고 있다.[87] 한편 미국은 국제 경쟁력 보고서에서 2위에 등재되었다.[88]
2009년 미국 경제에서 개인 부문은 전체 중 55.3%를 차지하는 것으로 집계되었는데, 연방 정부 활동은 24.1%, 주 및 지역 정부 활동(연방 이전액 포함)은 20.6%를 기록했다.[89] 미국 경제는 탈산업화 단계로, 서비스 부문이 GDP의 67.8%를 차지하지만, 지금도 미국은 산업 강국이다.[90] 기업 총수령액 기준 주요 사업 문야는 도소매 무역이며, 순수입 기준으로는 제조업이 주된 분야다.[91] 화학 공학 제품은 주요 제조업 분야이다.[92] 미국은 세계 3위 석유 생산국이며, 최대 수입국이기도 하다.[93] 미국은 전기 및 핵 에너지를 비롯하여 액화 천연 가스, 황, 인지질, 소금 생산에서 세계 1위다. 농업은 미국 GDP의 1%를 넘지 않으나,[90] 미국은 옥수수[94] 와 콩[95] 의 세계 최대 생산국이다. 뉴욕 증권거래소는 세계에서 달러가 가장 많은 곳이다.[96] 코카콜라, 맥도날드는 세계에서 브랜드 인지도가 가장 높은 기업이다.[97]
2009년 3/4분기에 미국 노동 인구는 1억 5,440만 명이었다. 이 중 고용 인구의 81%가 서비스 부문에 종사하고 있다. 2,240만 명을 거느린 미국 정부는 주요 고용처다.[98] 미국 노동자의 노동 조합 조직률은 12% 정도로, 서유럽의 30%에 비하여 낮은 수준이다.[99] 세계 은행은 미국을 노동자의 고용과 해고가 가장 쉬운 나라 1위로 들었다.[100] 1973년에서 2003년까지 미국인의 연간 평균 노동 시간은 199시간에 이르렀다.[101] 이런 이유도 있어서, 미국은 세계에서 노동 생산성이 가장 높은 수준이다. 2008년에 미국은 시간당 노동 생산성 면에서 십년 전까지만해도 미국보다 높던 노르웨이, 프랑스, 벨기에, 룩셈부르크를 따라 잡았다.[102] 유럽과 견주어 미국의 자산 및 법인 소득세율은 보통 높은 편이며, 노동 특히 소비세율은 낮다.[103] 미국은 내수경제가 튼실한 국가다. 그렇기 때문에 제조업에서 내수 위주로 산업기반을 바꾸기도 했다. 세계최대 석유 비축량에 셰일 가스까지 보유하고 있다. 최첨단 공산품을 많이 생산하며 정치적으로 소외된 계층이나 불공평한 대접을 받는 계층이 적고 엘리트 계층이 솔선수범하여 내적 모순을 해결하기 위해 노력하며 영토는 넓고 자원은 풍부하며 새로운 인력이 끊임없이 외부에서 공급된다.
교육
미국의 교육은 초기 식민지 시절부터 중요시되어왔는데, 고등교육기관의 발전은 전쟁과 과학 연구 등에 있어 미국의 역사와 함께해왔다. 초기에서부터 현재까지 교육에 있어 종교의 영향은 매우 크며, 엘리트들의 국가 경영이 장려되는 사회여서, 사학이 발달했다. 크게 사립과 주립 혹은 국공립 교육기관으로 나뉘며, 대부분의 주에서는 6세에서 16세까지 무상·의무 교육을 실시한다. 미국 학생들의 절대 다수가 중등교육을 마치는 17, 18세 (K-12 학제 상 고등학교 졸업반)까지 학교에 다닌다. 부자들은 대체로 사립 학교에 다닌다. 실용적인 교육 철학은 교육의 마지막 기간인 대학교와 대학원의 우수성에서 알 수 있는데, 특히 대학교와 대학원 등 고등교육은 그 명성과 학열, 학생 수준, 그리고 연구 실적에서 세계 여느 나라의 고등교육기관을 압도한다. 미국에서 대학에 진학하려면 ACT(주로 중부 쪽 대학)나 SAT(주로 동부, 서부 쪽 대학)를 치러야 한다. 다른 유럽의 국가들처럼 미국도 중등 교육 단계부터 학점제를 채택한다. 교육에서는 영어를 사용하고, 외국어로는 독일어, 프랑스어, 스페인어, 라틴어, 그리스어, 히브리어, 이탈리아어, 중국어, 일본어, 한국어 중 하나를 선택한다.
미국에는 세계적으로 손꼽히는 고등교육기관이 많이 있다. 학문, 연구, 스포츠, 예술 등 각종 분야에서 권위와 영향력이있는 명문 대학교로는 하버드 대학교를 포함하는 아이비리그와 공립 대학교(퍼블릭 아이비)인 UC 버클리, UCLA, 윌리엄 & 메리 칼리지, 버지니아, 미시간 대학교, 그리고 사립 대학교인 스탠퍼드, 시카고, 워싱턴 세인트루이스와 MIT가, 미국 남부의 대표적 사립 대학교인 듀크, 밴더빌트, 라이스와 에모리 대학교 등이 있다.
교통
개인 교통수단 중 가장 많이 차지 하는 것은 자동차로, 미국은 세계에서 가장 긴 도로망을 가진 나라 중 하나인데 1억 3천 만개의 도로가 펼쳐져있다.[105] 또 세계에서 두 번째로 큰 자동차 시장이며,[106] 미국인 1,000명당 765대의 자동차를 가지고있어 세계에서 가장 높은 1인당 자동차 보급율을 기록하고있다.[107] 이러한 개인용 자동차의 40%는 밴, SUV, 소형 트럭이다.[108] 미국인들은 하루 평균 29마일 (47km)을 다니며 55분을 운전하는데 보낸다.[109]
미국인 전체 출퇴근자의 9%는 매스 트랜싯을 이용한다.[110][111] 철도를 이용한 화물수송은 광범위 한 반면에 여객 철도 이용률은 조금 떨어지는편이다.[112] 하지만 암트랙의 국가 여객 철도 시스템의 이용자 수는 2000년부터 2010년까지 37%가 증가했다고한다.[113] 또한 매년 경전철 개발이 증가하고있다.[114]
미국은 국토가 넓은 덕에 항공 산업이 매우 잘 발달되어있다. 세계에서 가장 큰 3개의 항공사 (아메리칸 항공, 델타 항공, 유나이티드 항공)가 모두 미국에 있으며 2013년 아메리칸 항공이 US 에어웨이즈와 합병되면서 세계에서 가장 큰 항공사가 되었다.[115] 또 세계에서 가장 바쁜 공항 30개 중 미국에서 가장 바쁜 공항인 하츠필드 잭슨 애틀랜타 국제공항을 포함해 16개 공항이 이름을 올렸다.[116]
문화
아메리카 대륙에 신세계를 구축한 개척자들은 엄격한 청교도며 그 금욕사상은 모든 경쟁이나 즐거움을 죄악시하여 종교적인 활동을 제외하고 생산과 결부되지 않은 활동을 부정했다. 따라서 영국에서 도입된 예술·스포츠 문화가 신세계에 뿌리를 내리고 꽃을 피우기까지는 꽤 오랜시간이 걸렸다. 개척민들은 그들 고유의 언어와 문화관을 가지고 있었으나 빠르게 미국사회에 동화되었고 새로운 문화를 형성해 나갔다. 건축, 미술, 문학, 음악 등 다방면에서 미국적인 사고와 양식이 표출되었으며, 특히 지금까지 전 세계적으로 영향력을 가지는 것은 대중음악과 영화를 들 수 있다.
대중 매체
섬네일|왼쪽|캘리포니아 주 로스앤젤레스에 있는 할리우드 사인.
세계 최초의 상업적 그림 전람회는 1894년 토마스 에디슨의 키네토스코프를 사용해 뉴욕에서 열렸다. 다음 해 뉴욕에서 최초로 상업적인 영화 상영이 이루어졌고, 미국은 이후 수 십년 동안 유성 영화의 성장에 힘썼고 영화에 있어서는 최고의 국가가 되었다. 20세기 초반 이후 미국의 영화 산업은 캘리포니아 주 할리우드를 중심으로 이루어지고 있다.
감독 데이비드 와크 그리피스는 영화 기법을 발전시키는데 가장 중요한 사람으로, 오손 웰즈의 《시민 케인》(1941)은 역사상 가장 위대한 영화 중 대표적인 예다.[117][118] 존 웨인과 마릴린 먼로는 미국 영화 배우의 상징이며, 제작가/사업가 월트 디즈니는 애니메이션 영화를 만들어냄과 동시에 영화 캐릭터를 상품화 시킨 장본인이다. 할리우드는 세계 영화 산업의 중심지 중 한 곳이다.[119]
미국은 세계에서 가장 많은 시청자들을 보유한 곳이고,[120] 평균 일간 시청 시간은 2006년 다섯 시간으로 기록된 이후 계속해서 증가하고있다.[121] 네 개의 주요 방송 텔레비전 네트워크는 모두 상업적인 독립체다. 미국인들은 하루 평균 2시간 30분 정도 라디오 프로그램을 청취할 정도로 크게 대중화되어 있다.[122] 포털 사이트와 웹 검색 엔진 이외에 페이스북, 유튜브, 위키백과, 블로거, 이베이, 크레이그리스트는 매우 유명한 웹사이트들이다.[123]
아프리카계 미국인의 리듬과 가사 스타일은 유럽의 전통 음악과 다르게 미국 음악의 많은 부분에 있어 깊게 영향을 끼쳤다. 블루스와 같이 포크의 한 요소로 은어로만 알려져있던 장르는 요즘에 옛날 음악의 일종으로 인식되면서 세계적인 인기 있는 장르로 변했다. 재즈는 20세기 초 루이 암스트롱, 듀크 엘링턴과 같은 사람들이 도입해 발전시켰다. 컨트리 음악은 1920년대 발전되었고, 리듬 앤 블루스는 1940년대에 발전되었다.[124]
엘비스 프레슬리와 척 베리는 1950년대 중반 락앤롤 장르를 대중화시켰다. 1960년대에는 밥 딜런은 포크 장르의 부흥과 함께 미국의 가장 유명한 작곡가 중 한 명이었던 제임스 브라운과 함께 펑크를 발전시켰다. 최근 미국 음악계는 힙합과 하우스 음악이 많이 창작되고 있다. 엘비스 프레슬리, 마이클 잭슨, 마돈나와 같은 미국의 팝 스타는 세계적인 인기를 얻고 있다.[124]
문학, 철학, 예술
역사를 통틀어 미국은 일단의 뛰어난 작가들을 배출했다. 코튼 매더와 조내선 에드워즈의 설교집에서부터 벤저민 프랭클린과 토머스 제퍼슨의 불후의 저작에 이르기까지 식민지시대와 건국 초기시대가 미국 문학 속에 생생하게 묘사되어 있다. 19세기 문학은 너새니얼 호손, 허먼 멜빌, 에밀리 디킨슨, 에드거 앨런 포, 월트 휘트먼, 마크 트웨인, 헨리 제임스 등과 같은 작가들로 대변되었다. 20세기에는 어니스트 헤밍웨이, 윌리엄 포크너, 존 스타인벡, H. L. 멘켄, F. 스콧 피츠제럴드, 노먼 메일러, 솔 벨로, 존 업다이크 등의 작가들이 이름을 떨쳤다. 희곡 작가로는 유진 오닐, 테네시 윌리엄스, 시인으로는 에즈라 파운드, T. S. 엘리엇, 로버트 프로스트 등이 두각을 나타냈다.
흑인 문학으로는 랠프 엘리슨의 《투명 인간》 (Invisible Man, 1952년)이 20세기 미국 소설 가운데 불후의 명작으로 남았다. 보다 최근에는 여성운동이 정치적인 성격을 띠게 되면서 토니 모리슨, 앤 타일러, 루이즈 에드리히 등의 작품이 애독되었으며 여성 소설의 급속한 팽창을 경험했다.
건축 분야의 경우, 스칸디나비아에서 전해진 통나무집은 신속하게 보급되어 숲이 우거진 프런티어 지역의 상징적인 주택이 되었다. 연방양식, 그리스 부흥 양식, 고딕 양식 등 보다 정교한 건축양식이 19세기에 도시와 시골의 건축물에 이용되었다.
도시들이 소위 황금시대(Golden Age)로 접어들면서 마천루가 등장해 미국 사회의 기술적 업적과 자신감을 상징적으로 나타냈다. 윌리엄 러 배런 제니와 루이스 설리번은 시카고 출신의 건축가로, 그러한 건축양식의 선구자들이다. 설리번의 제자인 프랭크 로이드 라이트(1869~1959)는 프레리 학파(Prairie School)로 알려진 새로운 건축설계운동을 시작해 20세기초에 미국 전역에 걸쳐 폭넓은 영향을 끼쳤다. 후대의 주요 미국건축가로는 독일 태생의 루트비히 미스 판 데어르 로어, 그의 제자들인 필립 존슨, 로버트 벤투리 등이 있다. 1825~1870년에 유행했으며 황야 그 자체를 소재로 삼았던 허드슨 강파(Hudson River School)는 미국 미술에서 일어난 최초의 토착화 운동으로 여겨진다. 아셔 B. 듀랜드가 그 대표적인 화가다. 도시생활은 에드워드 호퍼 같은 사실주의파나 스튜어트 데이비스 같은 추상파 화가를 막론하고 20세기의 많은 예술가들에게 영감을 불어넣었다. 20세기 중엽 추상표현주의(Abstract Expressionism)로 알려진 미국의 회화양식이 결과적으로 서양미술을 압도하게 되었다. 중심인물은 잭슨 폴럭과 로버트 머더웰 등이었다. 추상표현주의의 위세도 1960년대에 또다른 미국적 양식인 팝 아트(Pop Art)의 등장으로 쇠퇴했다. 앤디 워홀과 로버트 라우셴버그 등의 팝 아티스트들은 대중문화와 상업에서 자유롭게 소재를 선택했다.
종종 조각의 발전은 회화의 발전과 병행되는 경우가 있는데, 루이즈 니벌슨과 마크 디 주베로의 추상화와 클래스 올덴버그의 팝 아트 조각이 바로 그 예다. 다양한 양식과 경향과는 대조를 이루는 특이한 예술가들이 주기적으로 등장하는 것이 미국 예술의 현저한 특징 중의 하나다. 고립상태에서 제작된 그들의 작품들은 국가적 경험에서 발견된 본질적인 것을 표현한다. 19세기의 윈즐로 호머와 20세기의 조지아 오키페 등의 화가들이 그 전형적인 예에 속한다.
미국인은 과소비성 소비행태로 알려져있으나, 사실은 소비 행동이 절약적으로, 소량 구매, 쿠폰의 생활화가 되어 있다. 창고 세일, 일회용 상품, 패스트 푸드의 문화가 정착되어 있다. 소비 생활의 흐름은 전문 유통 업체가 증가하고, 쇼핑몰이 대형화되고, 소비자의 안목이 고급화되는 것이다. 세계에서 가장 부자가 많은 나라이고 전체적인 국민 소득 수준이 높은 관계에다 자유롭고 소비를 조장하는 문화 등의 이유로 미국은 세계에서 가장 많이 사치품을 구입하는 나라며, 각종 자원들을 엄청난 양으로 소비하는 나라다.[125] 일부 특권층의 과소비가 악명 높으며, 중산층 역시 소비생활을 즐기는 문화 속에 살며, 빈부격차는 더욱 심해지는 추세다.
음식
주류 미국 요리는 다른 서양 나라들과 비슷하다. 밀은 미국인들에게 있어서 기본적인 곡물이다. 북미 원주민과 초기 유럽 이주민들은 전통적인 미국 요리에 칠면조, 사슴고기, 감자, 고구마, 옥수수, 호박, 메이플 시럽과 같은 원산 재료를 사용하기 시작했다. 천천히 조리하는 돼지고기와 소고기 바베큐, 크랩 케이크, 초콜릿 칩 쿠키는 독특한 미국 요리들이다. 아프리카 노예들에 의해 만들어진 솔 푸드는 남부를 중심으로 많은 아프리카계 미국인들에게 인기를 얻고있다. 루이지애나 크리올요리, 케이준 요리, 텍스 멕스와 같은 싱크리티즘 요리는 지방의 영향을 크게 받았다.
애플파이, 프라이드치킨, 피자, 햄버거, 핫도그와 같은 미국 특유의 음식은 다양한 이민자들의 레시피가 섞이면서 생겨났다. 프랑스식 감자튀김, 부리토(Burrito)와 타코와 같은 멕시코 요리, 이탈리아에서 전해지면서 미국식으로 변형된 파스타 요리는 널리 퍼져있다.[126] 미국인들은 보통 차보다 커피를 좋아한다. 미국의 기업들에 의한 마케팅은 아침 식사와 함께 오렌지 주스 또는 우유를 마시는 것이 흔한 모습이 되는데 큰 원인이 되었다.[127][128]
미국의 패스트푸드 시장은 세계에서 제일 큰데, 1930년대 드라이브 스루 형식을 만들어냈다. 패스트푸드의 소비는 건강에 대한 우려를 촉발했다. 1980년대와 1990년대를 거치면서 미국인들의 열량 섭취량은 24%가 증가했고,[126] 패스트푸드 매장에서 자주 식사하는 것에 관련해 미국 공중 위생 관리는 "비만 유행성"이라고 부른다.[129] 높은 당이 들은 청량음료는 널리 인기를 얻고있는데, 이러한 설탕이 첨가된 음료는 미국인들의 칼로리 섭취량 9%를 차지하고있다.[130]
스포츠
미국에서 매년 열리는 화려한 스포츠 행사들로는 프로 야구의 월드시리즈, 대학 미식축구의 각종 볼(로즈볼), 프로 미식축구의 슈퍼볼, 미국 프로 농구협회(NBA)의 플레이오프전, 프로 아이스하키의 스탠리컵 대회, 미국 오픈 테니스 선수권 대회, 미국 프로골프인 협회 선수권 대회 등이 있다. 인디애나폴리스 500마일 경주, 켄터키 더비, 프리크니스 스테이크스, 벨몬트 스테이크스, 서러브레드 경마, 프로 복싱 선수권대회 등도 세계적인 관심을 끈다.
가장 인기있는 스포츠는 미식축구, 야구, 농구, 하키, 골프, 테니스, 아이스하키 등이며 가라테를 포함하는 마셜아츠, 레슬링, 모토스포츠 등도 대중적이다.
같이 보기
한국계 미국인
미국의 이민
초강대국
패권주의
도널드 트럼프 행정부, 현재 미합중국의 집권 행정부
미국, 400년의 도전(en:America: The Story of Us)
참고
참고 자료
로저 윌리엄과 살렘 마녀사냥에 대한 기사는 《5시간만에 읽는 쉽고 재미있는 교회사》/유재덕 지음/작은 행복을 근거로 작성.
외부 링크
at Curlie
분류:G7 회원국
분류:G8 회원국
분류:G20 회원국
분류:유엔 회원국
분류:영국의 옛 식민지
분류:영어권
분류:연방제 국가
분류:북대서양 조약 기구 회원국
분류:경제 협력 개발 기구 회원국
분류:미주 기구 회원국
| https://ko.wikipedia.org/wiki/%EB%AF%B8%EA%B5%AD |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
156,
538,
698,
1111,
1162,
1500
],
"plaintext_end_byte": [
155,
527,
697,
1098,
1161,
1481,
1604
]
} | Mihin mineraalivillaa käytetään? | Mineraalivilla | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
21
],
"minimal_answers_end_byte": [
49
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Mineraalivilla on lämpö- ja äänieristeenä käytettävä rakennusmateriaali. Mineraalivillalla voidaan tarkoittaa sekä lasivillaa että kivivillaa.
Mineraalivilla on lahoamatonta. Mineraalivillan sisältämä sideaine, bakeliittiliima on palavaa, mutta yli 50 kg/m3 painava mineraalivilla, tai tyyppihyväksytty kevyempi mineraalivilla hyväksytään Suomessa palamattomaksi rakennustarvikkeeksi. Bakeliittiliima aiheuttaa lasivillan keltaisen värin. Kivivillassa bakeliittiliiman väri peittyy kiviaineksen värillä.
Valmistus
Mineraalivillan valmistuksessa raaka-aine puhalletaan ohuiksi kuiduiksi, jotka voidaan muovata eristelevyiksi tai -matoiksi, tai puristaa erilaisiin muotoihin.
Lasivilla valmistetaan yleensä jätelasista, joskus myös suoraan lasin raaka-aineista: kvartsihiekasta, soodasta ja kalkkikivestä. Lasivillaa valmistaa Suomessa Saint-Gobain Isover Oy, joka kuuluu ranskalaiseen Saint-Gobain-konserniin.
Kivivilla eli vuorivilla puolestaan valmistetaan pääasiassa emäksisistä kivilajeista. Kivivillaa valmistaa Suomessa Paroc Group -konserniin kuuluva Paroc Oy.
Tuotetyypit
Mineraalivillasta valmistetaan eri tuotetyyppejä:
pehmeä mineraalivillamatto
kovahko levyvilla
purumainen puhalluseriste
akustointiin kankaalla tai kalvopinnoitteella päällystettyjä mineraalivillalevyjä, akustiikkalevyjä
muotopuristettuja kovahkoja villaeristeitä esimerkiksi johtovetojen ympärille.
Vesiviljelyssä kasvualustana käytettävät kivivillakuutiot
Aiheesta muualla
Luokka:Rakennuseristeet
Luokka:Rakennusmateriaalit
Luokka:Keraamit
Luokka:Seulonnan keskeiset artikkelit | https://fi.wikipedia.org/wiki/Mineraalivilla |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
137,
187,
327,
405,
612
],
"plaintext_end_byte": [
136,
186,
316,
404,
609,
637
]
} | Eneo la Papua lina ukubwa gani? | Guinea Mpya | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Guinea Mpya bi kisiwa kikubwa katika Pasifiki upande wa kaskazini ya Australia. Ni kisiwa kikubwa cha pili duniani baada ya Greenland.
Eneo la kisiwa limegawiwa kati ya mataifa mawili:
upande wa magharibi ni mikoa ya Indonesia ya Papua na Irian Jaya Magharibi.
upande wa mashariki ni nchi huru ya Papua Guinea Mpya
Jiografia
Eneo lote la kisiwa ni 829,200 km² na jumla ya wakazi ni milioni 5.2 (2004).
Kuna milima mikubwa; upande wa Indonesia ni milima ya Maoke (Puncak Jaya 4,884 m juu ya UB) na upande wa Papua Guinea Mpya ni milima ya Bismarck (Mount Wilhelm 4,509 m juu ya UB). Mto mrefu kisiwa ni Fly.
Jamii:Visiwa vya Pasifiki | https://sw.wikipedia.org/wiki/Guinea%20Mpya |
{
"plaintext_start_byte": [
10,
3201,
10287,
13192,
13262
],
"plaintext_end_byte": [
3172,
10266,
13136,
13261,
13391
]
} | గదిలో సగటుగా ఉండాల్సిన ఉష్ణోగ్రత ఎంత? | పియా కా ఘర్ | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Main Page
పియా కా ఘర్ (హిందీ: पिया का घर, ఉర్దూ: پیا کا گھر, అనువాదం: నా ప్రియమైన ఇల్లు) 1972 నాటి హిందీ కామెడీ సినిమా. ఈ సినిమా 1970ల నాటి బొంబాయి నగరం నేపథ్యంగా సాగుతుంది. నగర జీవనం, సంసారం, మధ్యతరగతి జీవితం వంటి థీమ్స్ నేపథ్యంలో సాగుతుంది. రాజా ఠాకూర్ తీసిన మరాఠీ సినిమా ముంబై చా జావై కి రీమేక్. 1970ల్లో బొంబాయి నగరంలో సామాన్య గృహస్తుల జీవితంలో అనుభవించే ఇబ్బందులు హాస్యరీతిలో చూపించే సినిమా ఇది.
పల్లెటూరులో విశాలమైన ప్రదేశంలో జీవించిన మాలతికి వివాహమై బొంబాయి నగరంలోని ఓ ఇరుకు ఇంట్లో జీవించాల్సివస్తుంది. సరైన దాపులేని ప్రదేశం కావడంతో భర్తకు చేరువకాకుండా దూరంగానే ఉండిపోతుంది. వారిద్దరికీ ఏకాంతం కల్పించాలని చేసిన ప్రయత్నాలన్నీ వమ్ము అవుతాయి. చివరకి పల్లెటూరు పెద్దమనిషి అయిన ఆమె పెదనాన్నకి విషయం తెలసి తీసుకెళ్ళబోతాడు. మాలతి మీది అభిమానంతో ఇంట్లోవాళ్ళంతా తమ కొద్దిపాటి ప్రదేశాన్నీ త్యాగం చేయడం, చుట్టుపక్కల వారూ తమ ప్రయత్నం తాము చేయడం చూసిన మాలతి వారి ప్రేమకి లొంగి ఉండిపోతుంది. ఆమె చివరకి పట్నవాసం పిల్ల కావడం ముగింపు.
బొంబాయిలో స్థలాభావం వల్ల మధ్యతరగతి వారు ఆరేడుగురు కలిసి ఒకే గదిలో సర్దుకుని జీవించే చాల్స్ పుట్టుకువచ్చాయి. భార్యాభర్తల మధ్య ఏకాంతానికి కూడా సావకాశం లేని నగర జీవన విషాదాన్ని హాస్యంగా మలిచారు. నగరీకరణ, స్థలాభావం, మధ్యతరగతి జీవితం వంటివి ఇతివృత్తానికి ప్రధానమైన థీమ్స్.
ఇతివృత్తం
పల్లెటూరులో విశాలమైన ఇంట్లో పెరిగిన అమ్మాయి మాలతి(జయా బాదురీ)కి పెళ్ళిళ్ళ పేరయ్య బొంబాయి సంబంధం తీసుకువస్తాడు. ఆ పెళ్ళికొడుకు రామ్ (అనిల్ ధావన్) బొంబాయిలో బహుళ అంతస్తుల పాత భవనంలో చిన్న ఇంట్లో నివసిస్తుంటాడు. ఐతే పెళ్ళి జరగాలన్న ఉద్దేశంతో వాళ్ళుండేది పెద్ద మేన్షన్లో అంటూ అబద్ధం చెప్తాడు పెళ్ళిళ్ళ పేరయ్య (ఉండేది పెద్ద భవంతిలో అయినా వారిది చిన్న ఇల్లు). పెళ్ళయ్యాకా ఇంటికి వచ్చి చూస్తే అత్తమామలు, తోడికోడలు బావగారూ, తనూ భర్త ఉండాల్సిన ఇల్లు చిన్నగా, ఇరుకుగా ఉండడంతో ఉక్కిరిబిక్కిరి అవుతుంది.
కుటుంబం మొత్తానికి 180 అడుగులున్న ఒకే గదిలో సర్దుకోవాల్సి రావడంతో, అట్టలతో గదిని విడదీసుకుని జీవిస్తూంటారు. వంటగదిలో వారికి కేటాయించిన స్థలాన్ని మరోవైపు అట్టముక్క అడ్డుగా పెట్టి తయారుచేస్తారు, దీనికి తోడు మరోవైపునున్న కిటికీ తెరుచుకునే ఉంటుంది. అట్టముక్కకి అవతలివైపు మాలతి బావగారూ, తోడికోడలికి కేటాయించిన చోటు (మరో అట్టముక్కతో దాన్ని తయారుచేశారు), గదికి వెలుపల అత్తామావలు, మరిది ఉంటారు. మాటలు, చేతలు అందరికీ వినిపిస్తూంటాయని, కనిపిస్తూంటాయని మాలతి భయం. మాలతి మాత్రం పెళ్ళై ఎన్ని రోజులైనా ఆ దాపులేని స్థలంలో భర్తను సమీపించడానికి సంకోచిస్తుంది. భర్త ఎన్ని ప్రయత్నాలు చేసినా ఆమె మాత్రం దరిచేరదు. భర్తను బయటకి వెళ్ళి పడుకొమ్మంటుంది.
ఒకరోజు అనుకోకుండా అందరూ నాటకానికి వెళ్తారు, ఆమె సంబరపడగా ఈ సంగతి తెలియని భర్త ఆలస్యంగా వచ్చి అవకాశాన్ని జారవిడుస్తాడు. వీళ్ళ అవస్థ తెలుసుకున్న పెద్దలు మరోసారి కావాలనే సినిమాకి పరివారాన్ని అంతా వెంటబెట్టుకుని సినిమాకి వెళ్తారు. సినిమాకి అని వెళ్ళిన పెద్దలు కూడా జంటలు జంటలుగా ఏకాంతం కోసం విడిపోతారు. తల్లిదండ్రులు బీచ్ కి వెళ్ళి కబుర్లు చెప్పుకుంటే, అన్నావదినలు లాడ్జికి వెళ్తారు. ఆ ఇరుకు ప్రదేశంలో అనుభవించలేని ఏకాంతం కోసం. ఐతే దురదృష్టవశాత్తూ ఇంట్లోని కొత్తజంట ఏకాంతాన్ని మాత్రం భగ్నం చేస్తూ అనుకోని అతిథులు దిగుతారు. అన్నయ్య రామ్ తో ఏదైనా హోటల్ లో రూం తీసుకుని, హాయిగా తిరిగిరా అని సలహా ఇస్తాడు. ఆ ప్రయత్నమూ పోలీసులు రావడంతో రసాభాస అయి, వికటిస్తుంది.
ఈ ఇబ్బందులన్నీ పల్లెటూరులోని మాలతి పెదనాన్నకు తెలుస్తుంది. ఇలాంటి చాల్(కథానాయకుడి కుటుంబం ఉండే అపార్ట్ మెంట్స్ వంటిదాన్ని చాల్ అనేవారు బొంబాయిలో) లో ఉండాల్సిన ఖర్మ నా కూతురుకు పట్టలేదు, మా ఊరు తీసుకుపోతాను అని కోపంగా వస్తాడు. మాలతికి కూడా ఇరుకు ఇరుకు బతుకుతో విసిగొచ్చి వెళ్ళిపోయేందుకు తగ్గ మనస్థితిలో ఉంటుంది. తమను వదిలి ఆమె వెళ్ళిపోవడాన్ని అక్కడివారెవరూ అంగీకరించలేకపోతారు. ఆమె ఏకాంతం కోసం అత్తమామలు తీర్థయాత్రలకు బయల్దేరగా, తోడికోడలు-బావగారూ గది ఖాళీచేసి సామాన్లు సర్దుకుని వెళ్లిపోవడానికి సిద్ధపడతారు. చుట్టుపక్కల వారు కూడా తల తాకట్టైనా పెట్టి వారిద్దరికీ ఓ ఇల్లు చూసిపెడతామని పెద్దాయనకు మాట ఇస్తారు. తాను ఇందరి ప్రేమకు పాత్రురాలయ్యానని, ఇల్లు ఇరుకైనా వీరి మనసు విశాలమని గ్రహించిన ఆమె ఉండిపోతుంది. తన కోసం ఇన్ని వదులుకోవడానికి వీరు సిద్ధపడితే, తాను ఆ మాత్రం సర్దుకోలేనా అంటూ కలిసిపోతుంది. బొంబాయి నగర జీవితంలో భాగమైపోతుంది.[1]
థీమ్స్
నగర జీవితంలో నివాసం: బొంబాయి మహానగరం జనాభాకు అనుగుణంగా పరిణామంలో విస్తరించే వీలులేనిది కావడంతో 1950ల కల్లా నగరంలో జీవించేందుకు స్థలం పెద్ద సమస్య అయికూర్చుంది. ఈ నేపథ్యంలో పేదవాళ్ళతో మురికివాడలు తయారుకాగా, మధ్యతరగతి వాళ్ళకి చాల్స్ ఏర్పడ్డాయి. బ్రిటీష్ కాలంలో జైళ్ళుగా ఉన్నవాటిని కూడా తర్వాతికాలంలో చాల్స్ గా మార్చారని ప్రతీతి. ఒక్కో గదీ కనీసం ఆరేడుగురు ఉండే కుటుంబానికి నివాసంగా అద్దెకి ఇచ్చే చాల్స్ ఏర్పడ్డాయి.[1]
మనుషుల నగరీకరణ: కథానాయిక బొంబాయిలోని ఇరుకిళ్ళలో సర్దుకోలేకపోవడానికి ఆమె పల్లెటూరులో విశాలమైన ఇంట్లో నివసించడమే కారణంగా చూపుతారు దర్శకుడు. అదే చాల్ లో జీవిస్తున్న వారికి పెద్దగా లేని సంకోచం కూడా ఆమెకు రావడానికి తను పల్లె నేపథ్యమే కారణం. ఆఖరుకు ఆమె నగరీకరణ చెందుతుంది, ఆ జీవితాన్నే ఇష్టంగా చేసుకుంటుంది. అందుకు సంకేతంగా మాలతి ప్రారంభంలో విమానం వెళ్తున్న శబ్దం వినిపించగానే పరుగెత్తుకెళ్ళి కిటికీలోంచి చూస్తుంది, సినిమా చివరి సన్నివేశంలో మాత్రం విమానం శబ్దం వినిపించినా చూడదు, భర్త గుర్తుచేసినా పట్టించుకోదు. బొంబాయి జీవితంలో బయటివారికి విడ్డూరంగా కనిపించే విచిత్రాలు ఆమెకు ఇక సామాన్యమని, ఆమె స్థానికురాలైపోయిందని చూపించారు దర్శకుడు.[1]
మూలాలు
బయటి లింకులు
on IMDb
- includes first three songs and lyrics to "Ye Jeevan Hai"
వర్గం:హిందీ-భాషా చలనచిత్రాలు
వర్గం:హిందీ సినిమా
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%AA%E0%B0%BF%E0%B0%AF%E0%B0%BE%20%E0%B0%95%E0%B0%BE%20%E0%B0%98%E0%B0%B0%E0%B1%8D |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
507,
1184,
2483,
3304,
3712,
9601,
10338,
10424,
11347,
11666,
15026,
15840,
16280,
16558,
16760,
16969
],
"plaintext_end_byte": [
495,
1153,
2482,
3303,
3634,
9539,
10337,
10423,
11325,
11665,
15008,
15839,
16279,
16557,
16724,
16967,
17436
]
} | Когда вышла игра Dungeon Keeper, DK? | Dungeon Keeper 2 | russian | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Dungeon Keeper 2 (Russian: Хранитель Подземелья 2, или сокращённо DK2) — продолжение игры Dungeon Keeper, выпущенной компанией Bullfrog Productions и изданная компанией Electronic Arts. Девиз «It’s good to be bad!» () — вы снова становитесь злобным повелителем тёмных подземелий, властвуя и охраняя свои богатства.
Сюжет
Игрок в лице хранителя подземелья должен захватить 20 портальных самоцветов (English: portal gems) для того, чтобы открыть врата на поверхность — в мир героев. На каждом уровне можно захватить один самоцвет, охраняемый либо лордом, которого необходимо убить, либо другим хранителем подземелья, для победы над которым необходимо уничтожить его сердце подземелья.
Игровой процесс
Игра представляет собой cимулятор бога с элементами стратегии в реальном времени. В самом начале игры хранитель имеет в своем распоряжении только одну комнату (если отстроенное подземелье не является частью задания) — сердце подземелья — потеря которой означает проигрыш, и четырёх импов. Хранитель может рыть коридоры и залы, указывая импам участки подземелья, которые необходимо разрыть и захватить. В пустом зале можно построить одну из комнат. Для строительства комнат, ловушек и других расходов требуется золото, разбросанное по карте в виде залежей. Как правило, на карте количество золота ограничено, что осложняет ведение затяжной войны, и лишь изредка можно найти неиссякаемые запасы самоцветов.
Для призыва существ необходимо найти и захватить портал. В зависимости от имеющихся у хранителя комнат, из портала будут вылезать те или иные существа. Основной особенностью игры является то, что существа в подземелье хранителя живут собственной жизнью и управлять ими большую часть игры не нужно. Тем не менее, от хранителя требуется, чтобы существа постоянно были довольны, иначе они могут сбежать обратно в портал или восстать против хранителя.
Любое существо можно подхватить и бросить в любую область своей части подземелья; поощрить или наказать. Кроме того, всем существам периодически необходимо выплачивать жалование.
Существенные отличия от предыдущей части
Полностью трёхмерная графика.
Сердце подземелья теперь может хранить 16 тысяч золота. В первой части игрок, который потратил всё золото, не построив сокровищницы, больше не мог добывать и хранить золото.
Появился второй счётный ресурс мана. Мана расходуется на применение заклинаний, на активные действия ловушек, содержание импов и ловушек. Ману приносит принадлежащая игроку территория и источники маны, а также молитвы существ в храме. Есть ограничение как на общее количество маны (200 000 единиц), так и на скорость прироста (500 единиц в секунду). Источники маны позволяют увеличивать максимальную скорость прироста на 100 единиц в секунду каждый.
Смерть существа не наступает после утраты всего здоровья: некоторое время оно лежит неподвижно (на грани жизни и смерти); если за это время имп успеет перенести существо в логово — оно начнёт восстанавливать своё здоровье, если существо окажется на вражеской территории — вражеские импы перенесут его в свою тюрьму, если существо так и останется лежать — оно умрёт окончательно, превратившись в гниющий труп, годный только к перемещению на кладбище.
Импам больше не требуется тренировка для продвижения в уровнях. Теперь они получают опыт, выполняя свои обязанности в подземелье. Также, импы со временем восстанавливают своё здоровье.
Посещая зал тренировок, бойцы могут достичь лишь 4-го уровня; сражаясь между собой на боевой арене — 8-го уровня. Максимальный 10-й уровень существа могут получить только в бою с врагом. В режиме вселения опыт зарабатывается заметно хуже.
Было добавлено несколько новых комнат (казино и боевая арена), появилось два типа моста (деревянный и каменный). Убрали комнату Свалка (English: Scavenger room).
Рогатый больше не живёт в подземелье. Теперь его можно вызвать за огромную плату маной до 4 раз за уровень, если хотя бы на одну четверть заполнен особый амулет.
Многие заклинания были переделаны: теперь их можно улучшать после исследования всех основных заклинаний. Усилить заклинание за счёт увеличения его стоимости уже нельзя.
Мастерская теперь изготавливает ловушки и двери на заказ хранителя, а не случайно, как было раньше. Для содержания построенных ловушек необходима мана.
Убраны настройки поведения: теперь нельзя приказать добивать противника, нельзя приказать убегать от драки, нельзя приказать не трогать существ того или иного хранителя. Импы стремятся захватить любое доступное пространство, что обычно приводит к началу конфликтов.
Импы могут разрушать чужие укреплённые стены (в настройках карты эту возможность можно отключить).
Теперь сбрасываемые хранителем твари оглушаются при падении, и им нужно некоторое время, чтобы прийти в себя, поэтому сбрасывать своих существ прямо врагам на голову уже не так эффективно. Некоторые из них не оглушаются по случайному принципу, однако склонны уходить по своим делам, не сразу замечая противника.
Эффективность комнат зависит не только от собственно её площади, но и конкретной конфигурации. Так, например, комната, ограниченная усиленными стенами эффективнее комнаты той же площади, построенной на пустыре, так как на стенах появляются дополнительные элементы (книжные полки в библиотеке, мишени в тренажёрных залах, колёса в камере пыток и т. д.)
Существа
Характеристики существ
У всех существ есть свои особенности, умения и навыки. Над всеми существами отображается показатель их уровня. Максимальный уровень, которого может достигнуть существо, десятый. С увеличением уровня, существа получают новые умения, а их атака становится сильнее. Например, импы на высоких уровнях могут переносить больше золота за один раз, быстрее перемещаться, а на восьмом уровне телепортироваться.
Все существа в игре имеют боевые и мирные роли.
Боевые роли:
блокирующий — существо эффективно в ближнем бою в качестве основной ударной силы;
фланговый — существо эффективно только вместе с группой блокирующих существ;
блиц — аналогично фланговому бойцу, но имеет сильный коронный удар, которым может пользоваться редко;
поддержка — существо эффективно в дальнем бою;
разведка — существо эффективно для разведки территории.
Гражданские роли:
исследователь заклинаний;
работник в мастерской;
охранник в зале стражи;
пытки пленённых.
Юмор в игре
Игры компании Bullfrog традиционно славились искромётным юмором и учётом временных нюансов, отчасти благодаря этому они были столь популярны. Dungeon Keeper 2 не является исключением.
Например, во время вечеринки в казино по случаю джекпота все жители подземелья, оказавшиеся в нём, в том числе и враги (в самый кульминационный момент атаки такое событие бывает не совсем забавно, хотя и весело), начинают танцевать зажигательный танец под песню «Disco Inferno» BURN BABY BURN!. Чтобы не ждать джекпота, можно перевести системные часы на 13 ноября 1999 года в 0:55, после чего запустить игру. Через пять минут все подземелье превратится в площадку диско. Также может попасться редкий случай, когда вышеозначенный праздник начинается без видимой причины. Он будет сопровождаться сообщением «Welcome to ’90 disco party!»
При выигрыше каждой миссии в качестве награды показывается небольшой ролик, повествующий о «нелёгкой» жизни обитателей подземелья.
У каждого жителя есть свои собственное, не повторяющееся на уровне имя, заработная плата и даже группа крови.
Заклинание «Create Gold» (создания золота) «звучит» как Expressus Americanus.
В игре есть пять секретных уровней. На четыре из них можно получить доступ, найдя соответствующие магические предметы в определённых миссиях. А вот пятый доступен только в новолуние. Кстати, в Dungeon Keeper тоже есть секретный уровень, доступный в полнолуние.
Вся нежить — скелеты и вампиры — обладают ненормальным чувством юмора и веселятся как только могут. Видимо, жизнь после смерти не так уж и плоха…
Советник упорно просит вас лечь поспать (GO TO BED!), если вы играете ночью. Ещё Советник от лица жителей просит провести в подземелье кабельный интернет (в переводе звучит несколько иная по смыслу фраза «Вашши подданные, знаете ли,… тянут ОПТОВОЛОКНО!!»).
В полночь Советник объявляет Witching hour — цена на все заклинания падает на 50 % (в переводе «Наступил Час Ведьмы — проклятья за полцены!»).
Если Госпожи у Хранителя слишком многочисленны, Советник сообщает, что для людей с такими наклонностями есть специальный термин.
Dungeon Keeper 3
В дополнениях к игре есть трейлер к третьей части Хранителя Подземелий. В нём Рогатый выходит на поверхность и далее следуют слова: «The time has cometh. A World of Heroes awaits. A New beginning unfolds» (Russian: Время пришло. Мир Героев ждёт. Грядёт новое начало). Собственно, это всё, что известно об этом проекте. В 2000 году, в связи с переориентацией Bullfrog на игровые консоли, проект был заморожен EA. Никаких демоверсий, скриншотов и пресс-релизов ни от Bullfrog, ни от EA не последовало.
Согласно словам Питера Молинье, создателя серии Dungeon Keeper, он мог бы продолжить серию DK, но права на имя Dungeon Keeper 3 принадлежат EA и неизвестно, будут ли намерения создать третью часть[1]. В данный момент фанатами игры создана петиция за выпуск DK3.
В некотором роде перерождением серии DK можно считать игру Dungeons компании Realmforge Studios, разработчики подтверждают, что вдохновились именно игрой Dungeon Keeper 2.
2 апреля 2015 года вышла игра War for the Overworld, которая во многом повторяет сеттинг игры Dungeon Keeper 2.
Примечания
Ссылки
First active community: news, forums, IRC, galleries, projects under development.
— единственный известный клан DK2
— петиция за создание Dungeon Keeper 3.
Категория:Стратегии в реальном времени
Категория:Симуляторы бога
Категория:Компьютерные игры, изданные Electronic Arts
Категория:Компьютерные игры по алфавиту
Категория:Компьютерные игры 1999 года
Категория:Продолжения компьютерных игр
Категория:Игры для Windows | https://ru.wikipedia.org/wiki/Dungeon%20Keeper%202 |
{
"plaintext_start_byte": [
15,
108,
279,
384,
406,
486,
558,
672,
828,
1075,
1446,
1583,
1867,
2160,
2562,
2765,
2877,
3189,
3625,
4079,
4165,
4464,
4854,
5083,
5320,
5587,
5999,
6203,
6844,
7335,
7610,
7922,
8280,
8513,
8981,
9523,
9754,
10572,
10837,
11216,
11747,
12769,
13693,
14023,
14551,
15172,
15690,
16132,
16665,
17107,
17329,
17791,
18168,
18698,
19129,
19256,
19593,
20061,
20471,
21469,
21909,
22127,
22715,
23777,
24094,
24246,
24462,
24654,
24930,
25333,
25453,
25750,
25900,
26114,
26460,
27052,
27474,
27695,
28406,
28792,
29016,
29100,
29346,
29546,
29773,
30327,
31000,
31644,
31884,
32215,
32543,
32574,
32912,
32935,
33259,
33663,
34096,
34305,
34965,
35268,
35600,
36459,
36885,
37126,
37596,
37858,
38293,
38575,
38819,
39510,
39869,
40154,
40259,
40709,
40909,
41565,
41989,
42494,
43255,
44253,
45003,
45249,
45945,
46223,
46471,
46847,
47034,
47176,
47222,
47277,
47641
],
"plaintext_end_byte": [
107,
278,
383,
405,
485,
557,
644,
827,
1074,
1445,
1582,
1866,
2147,
2561,
2764,
2848,
3188,
3624,
4052,
4164,
4463,
4853,
5082,
5319,
5586,
5998,
6202,
6825,
7334,
7609,
7921,
8279,
8512,
8980,
9522,
9753,
10571,
10836,
11215,
11746,
12768,
13692,
14022,
14550,
15171,
15689,
16131,
16628,
17106,
17328,
17775,
18167,
18697,
19128,
19237,
19592,
20060,
20452,
21468,
21908,
22105,
22714,
23776,
24093,
24245,
24455,
24653,
24929,
25314,
25452,
25749,
25858,
26113,
26452,
27051,
27461,
27694,
28405,
28791,
29015,
29092,
29345,
29545,
29772,
30308,
30999,
31619,
31883,
32214,
32542,
32572,
32910,
32934,
33258,
33662,
34095,
34295,
34964,
35267,
35590,
36458,
36884,
37125,
37595,
37857,
38292,
38574,
38818,
39501,
39868,
40153,
40250,
40708,
40908,
41564,
41988,
42493,
43254,
44252,
45002,
45248,
45921,
46222,
46459,
46812,
47027,
47157,
47214,
47257,
47637,
47713
]
} | Chuo kikuu cha kwanza nchini Afrika Kusini kinaitwaje? | Kenya | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Coordinates:
Jamhuri ya Kenya ni nchi iliyoko Afrika Mashariki katika ikweta, kando ya Bahari ya Hindi.
Kenya imepakana na Ethiopia (kaskazini), Somalia (kaskazini mashariki), Tanzania (kusini), Uganda na Ziwa Victoria (magharibi), kisha Sudan Kusini (kaskazini magharibi).
Kenya ni nchi mwanachama wa Jumuiya ya Afrika ya Mashariki na wa miundo mingine mbalimbali ya kimataifa.
Mji mkuu ni Nairobi.
Idadi ya watu imeongezeka sana katika miaka ya karibuni na kufikia milioni 49.
Kenya ina mbuga mbalimbali wanamoishi aina elfu kadhaa za wanyama pori.
Jina la nchi limetokana na mlima Kenya[4], ulio wa pili kwa urefu barani Afrika.[5][6]
Jiografia na hali ya hewa
Kenya ni nchi ya 47 kwa ukubwa duniani ikifuata mara Madagaska 580,367km2 (224,081sqmi) [3] ikiwa na eneo la kilomita mraba 580,367 (maili mraba 224,081).
Kutoka pwani ya Bahari ya Hindi, nyanda za chini zimeinuka hadi milima ya kati. Milima hii imetenganishwa na eneo la Bonde la Ufa; sehemu tambarare yenye rutuba upande wa mashariki. Milima ya Kenya ni kati ya iliyofaulu kwa kilimo barani Afrika.
Eneo hili la milima ndilo la juu zaidi nchini Kenya (na la pili kwa urefu barani Afrika): Mlima Kenya, unaofikia urefu wa mita 5,199 (futi 17,0570) 5,199m (17,057ft) na ni eneo lenye mito ya barafu. Mlima Kilimanjaro (5,895m (19,341ft)Error in convert: Ignored invalid option "disp=s" (help)) huweza kuonekana upande wa kusini, ng'ambo ya mpaka wa Kenya na Tanzania .[7]
Kenya ni nchi yenye jua kali na nguo za majira ya joto huvaliwa mwaka mzima. Hata hivyo, huwa na baridi usiku na pia asubuhi na mapema.
Hali ya hewa ina joto na unyevu sehemu za pwani, joto kiasi sehemu za bara na ni kame katika sehemu za kaskazini na kaskazini-mashariki mwa nchi. Hata hivyo kuna mvua nyingi kati ya Machi na Aprili, na mvua ya kadiri kati ya Oktoba na Novemba. Halijoto huwa juu zaidi miezi hii yote.
Mvua ya masika hunyesha kuanzia Aprili hadi Juni. Mvua ya vuli nayo hunyesha kuanzia Oktoba hadi Desemba. Wakati mwingine mvua hii huwa nyingi na aghalabu hunyesha wakati wa alasiri na jioni. Majira ya joto jingi ni kuanzia Februari hadi Machi nayo ya baridi ni Julai hadi Agosti.
Mazingira
Kenya ina eneo kubwa wanapoishi wanyamapori likiwemo Masai Mara, ambapo nyumbu na wanyama wengi walanyasi hushiriki katika uhamaji kila mwaka. Uhamaji huo, hasa uhamaji wa nyumbu, hutokea Juni hadi Septemba na hushirikisha mamilioni ya wanyama. Tukio hili huwavutia sana wapigaji picha za sinema. Takribani nyumbu 250,000 huangamia kila mwaka katika uhamaji huu wa kutafuta lishe wakati wa kiangazi.
Wale wanyama wakubwa watano wa Afrika wanapatikana Kenya: simba, chui, nyati, kifaru na ndovu. Wanyama wengine wengi wa pori na ndege hupatikana katika mbuga za taifa na hifadhi za wanyama hawa nchini.
Mazingira ya Kenya yanatishiwa na ongezeko kubwa la idadi ya watu na athari zake.
Historia
Historia ya awali
Mabaki ya mamba mkubwa ajabu wa zamani za Mesozoic Era, ambayo ni miaka milioni 200 iliyopita, yaligunduliwa nchini Kenya katika chimbo zilizochimbwa na wataalamu kutoka Chuo Kikuu cha Utah na Makavazi ya Kitaifa nchini Kenya miezi ya Julai hadi Agosti 2004 katika bonde la Lokitaung, karibu na Ziwa Turkana.[8]
Mabaki yaliyopatikana Afrika Mashariki yaonyesha kuwa miaka milioni 20 iliyopita viumbehai mfano wa sokwe waliishi eneo hili. Uchunguzi wa juzijuzi karibu na Ziwa Turkana waonyesha kuwa viumbe aina ya Homo habilis (walioishi miaka milioni 1.8 na 2.5 iliyopita) na Homo erectus (walioishi miaka milioni 1.8 na miaka 350,000 iliyopita) huenda ndio wazazi wa watu wa kisasa homo sapiens walioishi Kenya enzi za barafu kuu kuisha barani.
Katika mwaka wa 1984, uvumbuzi uliofanywa na mtafiti maarufu Richard Leakey na Kamoya Kimeu huko Ziwa Turkana ulikuwa wa mifupa ya mvulana iliyohusishwa na Homo erectus wa miaka milioni 1.6 iliyopita. Utafiti wa awali wa viumbe hawa unahusishwa na Mary Leakey na Louis Leakey, ambao ndio waliofanya uchunguzi wa mwanzo wa kiakiolojia huko Olorgesailie na Hyrax Hill. Baadaye utafiti wa Olorgesailie uliendelezwa na Glynn Isaac.
Historia kabla ya ukoloni
Wakushi kutoka Afrika kaskazini waliingia eneo linaloitwa Kenya miaka ya 2000 KK.[9]
Wafanyabiashara wa Kiarabu walianza kuja pwani ya Kenya karne ya 1 BK. Ukaribu wa Kenya na Uarabuni kuliraisisha ukoloni, na Waarabu na Waajemi walianza kuishi eneo la pwani karne ya 8. Hata hivyo, baadhi ya walioitwa "Waarabu" katika eneo la Afrika Mashariki walikuwa machotara, Waafrika-Waarabu.
Katika milenia ya kwanza, wazungumzaji wa lugha za Kinilo-Sahara na lugha za Kibantu waliingia katika eneo hili, na sasa Waniloti ni 30% ya Wakenya wote. Pwani ya Kenya imekuwa makao ya jamii ya wahunzi na jamii ya wakulima wadogo wadogo, wawindaji na wavuvi ambao walikuwa mhimili wa uchumi kwa kushirika katika kulimo, uvuvi, utengenezaji chuma, na kufanya biashara na nchi za kigeni.[9]
Kuanzia karne ya 6 au karne ya 9, Kenya ilijihusisha na shughuli za ubaharia kukuza uchumi ikaanza kutengeneza meli za kuabiria kusini hadi miji mingine yenye bandari kama Kilwa na Shanga iliyo katika pwani ya Afrika Mashariki.
Mombasa ulikuwa mji wenye bandari wa nchi ya Kenya kabla ya ukoloni katika Enzi ya kati. Bandari hiyo ilitumika kuendeleza biashara na miji mingine yenye bandari Afrika, Uajemi, na wafanyabiashara Waarabu, Yemeni na hata Bara Hindi.[10]
Mwanabaharia Mreno Duarte Barbosa wa karne ya 15 alidai kuwa "[Mombasa] ni bandari nzuri na yenye shughuli nyingi, mashua nyingi na hata meli kubwa ajabu, ambazo zote hutoka Sofala na nyingine kutoka Cambay, Melinde na nyingine zinazoabiri hadi kisiwani Unguja."[11]
Karne kadhaa kabla ya ukoloni, upwa wa Kenya wanakoishi Waswahili ulikuwa sehemu ya eneo la mashariki mwa Afrika lililofanya biashara, hasa ya watumwa na pembe za ndovu na Waarabu na Wahindi. Inasemekana kwamba kabila la Wameru lilitokana na watumwa waliotoroka utumwa Uarabuni miaka ya 1700. Mwanzoni wafanyabiashara wengi walitoka milki za Uarabuni lakini baadaye wengine wakatoka Unguja (kama Tippu Tip).[12]
Kiswahili, ambayo ni lugha ya Kibantu iliyokopa misamiati ya Kiarabu, Kiajemi na mingine kutoka Mashariki ya Kati na Asia Kusini, baadaye ilikua ikawa lingua franca ya kibiashara kwa jamii mbalimbali.[9]
Kwa karne nyingi, upwa wa Kenya umekuwa mwenyeji wa wafanyabiashara na wasafiri. Kati ya miji iliyopo kwenye upwa wa Kenya ni mji wa Malindi. Umebakia kuwa makazi muhimu ya Waswahili tangu karne ya 14 na wakati mmoja ulishindana na Mombasa kwa ukuu pande hizi za Afrika Mashariki. Kwa kawaida, Malindi umekuwa mji na bandari ya kirafiki kwa serikali zingine. Mwaka wa 1414, Sultani Mwarabu wa Malindi alianzisha uhusiano wa kidiplomasia na utawala wa Uchina wa Ming, wakati wa safari za mchunguzi Zheng He.[13] Katika mwaka wa 1498, utawala wa Malindi ulimkaribisha msafiri na mvumbuzi maarufu kutoka Ureno, Vasco da Gama.
Chini ya ukoloni
Wareno walikuwa Wazungu wa kwanza kuzuru eneo la Kenya ya sasa: Vasco da Gama alikuwa amezuru Mombasa mwaka wa 1498. Safari ya Vasco da Gama ilifaulu alipofikia huko India, na jambo hilo liliwawezesha Wareno kufanya biashara moja kwa moja na Mashariki ya Mbali kupitia bahari na hivyo kutatiza mitandao ya kibiashara ya awali ya nchi kavu na baharini kama njia za biashara ya viungo zilizotumia Ghuba la Uajemi, Bahari Nyekundu na misafara iliyofika hadi eneo la mashariki ya Mediterranea.
Jamhuri ya Venisi ndiyo iliyotawala maeneo ya biashara kati ta Uropa na Asia. Baada ya njia za kawaida za nchi kavu hadi India kufungwa na Waturuki wa Ottoman, Ureno ulitarajiwa kutumia njia ya baharini iliyotumiwa kwanza na Vasco da Ghama ili kuvunja ukiritimba wa Venice.
Utawala wa Wareno huko Afrika Mashariki ulijihusisha hasa na pwani iliyokaribia Mombasa. Kuwepo kwa Wareno Afrika Mashariki kulianza rasmi baada ya mwaka wa 1505, wakati manowari za Wareno, zikiongozwa na Don Francisco de Almeida, zilipokishinda Kilwa, kisiwa kilicho katika eneo ambalo sasa ni Tanzania kusini.
Kuwepo kwa Wareno Afrika Mashariki kuliwawezesha kudhibiti biashara katika Bahari ya Hindi, na kulinda njia za baharini zinazounganisha Uropa na Asia. Manowari zao za kivita zilikwamisha biashara za maadui wao magharibi mwa Bahari ya Hindi na walitoza kodi juu ya bidhaa zilizosafirishwa kupitia eneo hilo kwani walitawala bandari zote na njia kuu za meli.
Kujengwa kwa ngome iliyoitwa Fort Jesus Mombasa mwaka wa 1593 kulikusudiwa kuimarisha utawala wao katika eneo hilo, lakini ushawishi wao ulikatizwa na kuja kwa Waingereza, Waholanzi na Waarabu wa Omani katika eneo hilo karne ya 17.
Waarabu kutoka Omani ndio waliokuwa tishio kuu la utawala wa Wareno Afrika Mashariki na waliizingira ngome ya Wareno, wakazishambulia meli zao za kivita, kisha kuwafukuza Wareno waliobaki kutoka pwani ya Kenya na Tanzania mwaka wa 1730. Kufikia wakati huo, ufalme wa Ureno haukuwa na haja na njia ya bahari ya biashara ya viungo kwani faida yake ilikuwa imepungua sana. Utawala wa Wareno ulibakia tu katika bandari na maeneo ya kusini mwa Msumbiji hadi mwaka wa 1975.
Kutawaliwa kwa pwani ya Kenya na Tanzania na Waarabu kutoka Omani kuliifanya miji hii iliyojitawala hapo awali iwe chini ya uangalifu mkali wa wageni kuliko ilivyokuwa katika enzi za utawala wa Wareno. Waarabu wa Omani, kama Wareno waliowatangulia, waliweza kutawala eneo la pwani tu, si eneo la bara. Hata hivyo, kuanzishwa kwa mashamba makubwa ya mikarafuu, kuongezeka kwa biashara ya utumwa na kuhamishwa kwa makao makuu ya Waomani hadi Zanzibar mwaka wa 1839 na Seyyid Said kulisababisha Waomani kuimarisha utawala wao katika eneo hilo.
Utawala wa Waarabu katika bandari kuu zote za pwani ya Afrika Mashariki uliendelea hadi Uingereza ilipoamua kumaliza biashara ya utumwa na uanzishaji wa utaratibu wa kufanya kazi kwa malipo ukaanza kushinikiza utawala wa Waomani.
Kufikia mwisho wa karne ya 19, biashara ya watumwa katika bahari zote kuu ilikuwa imeharamishwa na Waingereza: Waarabu wa Omani hawakuwa na uwezo wa kupingana na jeshi la wanamaji la Uingereza lililokuwa likitekeleza amri hiyo. Waomani waliendelea kuwepo visiwani Unguja na Pemba hadi mapinduzi ya mwaka wa 1964, lakini kuwepo kwa Waarabu wa Omani nchini Kenya rasmi kulisitishwa wakati Wajerumani na Waingereza walipozidhibiti bandari zote kuu na kuanzisha mahusiano ya kibiashara na viongozi mashuhuri waliokuwa wenyeji miaka ya 1880. Hata hivyo, urithi waliouacha Afrika Mashariki ungali unaonekana kupitia kwa vizazi vyao vipatikanavyo pwani ya Kenya na ambavyo vinaona kuwa asili yao ni Oman. Vizazi hivi hata leo humiliki utajiri mwingi na ndio wenye ushawishi mkubwa wa kisiasa katika jamii za pwani ya Kenya.
Hata hivyo, wanahistoria wengi hushikilia kuwa historia ya ukoloni nchini Kenya ilianza wakati Wajerumani walipoanza kutawala mali ya Sultani wa Unguja iliyo pwani mwaka wa 1885, ikifuatwa na kuja kwa kampuni ya Imperial British East Africa Company mwaka wa 1888.
Uhasama wa kwanza baina ya mabepari ulikatizwa wakati Ujerumani ulipouachia Uingereza sehemu ya pwani iliyomiliki. Hii ilifuatia kujengwa kwa reli iliyounganisha Kenya na Uganda. Baadhi ya makabila ya Kenya yalipinga ujenzi huo, hasa Wanandi wakiongozwa na Orkoiyot Koitalel Arap Samoei kwa miaka kumi, kuanzia 1895 hadi 1905 – lakini hatimaye Waingereza waliijenga reli hii.
Inaaminika kuwa Wanandi walikuwa kabila la kwanza kuwekwa kwenye maeneo yaliyotengewa Waafrika ili kuwazuia kutatiza ujenzi wa reli. Wakati huo Wahindi wengi wenye ujuzi waliingia nchini ili kuchangia ujenzi. Wakati wa ujenzi wa reli kupitia Hifadhi ya Taifa ya Tsavo Magharibi, Wahindi wengi na wenyeji Waafrika walivamiwa na simba wawili waliojulikana kama “wala watu wa Tsavo”. Wahindi hao na vizazi vyao baadaye walibakia nchini Kenya na kuunda kitovu cha jamii za Wahindi zijulikanayo kama Ismaili Muslim na Sikh.[14][15]
Mnamo Agosti 1914, Vita vya Kwanza vya Dunia vilipoanza, magavana wa British East Africa (kama eneo hilo lilivyojulikana) na German East Africa walifikia makubaliano ili kuepusha makoloni yao machanga na uhasama. Hata hivyo, Luteni Kanali Paul von Lettow-Vorbeck alichukua mamlaka ya majeshi ya Ujerumani, akiwa na kusudi la kutwaa raslimali nyingi iwezekanavyo za Uingereza. Jeshi la Uingereza likiwa limemtenga na Ujerumani, von Lettow aliendesha kampeni iliyofaulu ya vita vya kuvizia, wakila walichopata, wakiteka bidhaa za matumizi za Uingereza, na kuepuka kushindwa. Mwishowe alisalimu amri na akajisalimisha nchini Zambia siku kumi na moja baada ya mapatano ya kusimamisha vita kutiwa sahihi mwaka wa 1918. Waingereza walitumia jeshi la Wahindi kumfukuza Lettow na walihitaji wachukuzi wengi ili kubeba vifaa vya matumizi hadi bara kwa miguu na hivyo kutatua shida kuu ya uchukuzi. Kundi la wanajeshi wachukuzi liliundwa na kuwajumuisha Waafrika 400,000, na kuchangia katika uhamasishaji wao wa muda mrefu kisiasa.
Hadi mwaka wa 1920, eneo linaloitwa Kenya lilijulikana kama Himaya ya Uingereza ya Afrika Mashariki.[16] Mwaka huo, koloni la Kenya liliundwa na kupatiwa jina linalotokana na Mlima Kenya[17]Waingereza walilitamka jina hilo kama pronounced/ˈkiːnjə/(deprecated template)[18] ingawa matamshi ya wenyeji na yaliyokusudiwa katika maendelezo asili, Kenia yalikuwa ˈkɛnja.[19] Enzi ya Jomo Kenyatta kuwa rais wa Kenya miaka ya 1960-1969, matamshi ya Kiingereza, yaani /ˈkɛnjə/ yalikubalika na kutumiwa sana kwa sababu jina lake lilidumisha matamshi asilia ya wenyeji.[20] Kumbe saa ya uhuru, mwaka 1963, Jomo Kenyatta alichaguliwa kama rais wa kwanza.[21] Awali alikuwa alishika jina hili kutafakari ahadi yake ya kuikomboa nchi yake na matamshi yake ya jina lake ulisababisha katika matamshi ya Kenya katika Kiingereza kubadilisha nyuma ya makadirio ya awali uliotokea matamshi, pronounced/ˈkɛnjə/(deprecated template)
Mwanzoni mwa karne ya 20, wakulima Waingereza na Wazungu wengine walituama katika nyanda za juu katika eneo la kati walikoondokea kuwa matajiri kwa kulima kahawa na chai.[22] Kufikia mwaka 1930, takribani walowezi 30,000 waliishi katika maeneo hayo na walikuwa na ushawishi mkubwa wa kisiasa kwa sababu ya uwezo wao wa kiuchumi.
Maeneo hayo yalikuwa makao ya watu milioni moja wa kabila la Wakikuyu, na wengi wao hawakuwa na ithibati ya kumiliki mashamba kwa mujibu wa Waingereza (ingawa mashamba hayo yalimilikiwa na kabila hilo kabla ya Wazungu kufika), na waliishi kama wakulima wanaohamahama. Ili kuendeleza matakwa yao, walowezi waliwakataza kilimo cha kahawa na kuwalazimisha kulipa kodi ya nyumba, na maskwota walipewa mashamba madogo baada ya kuwafanyia kazi. Wakikuyu wengi walihamia mijini kwani mashamba yao hayangeweza kutosheleza mahitaji yao.
Mwaka wa 1951, Horace Hector Hearne akawa mkuu wa sheria nchini Kenya (alitoka Ceylon alikoshikilia wadhifa huohuo) na alifanya kazi katika Mahakama Kuu mjini Nairobi. Alihudumu katika wadhifa huo hadi mwaka 1954 alipoteuliwa kama Hakimu wa Rufaa katika Mahakama ya Rufaa ya Afrika Magharibi. Usiku wa tarehe 5 Februari 1952, wakati Mfalme George VI alipoaga dunia, Hearne alimsindikiza Malkia Elizabeth II na mumewe Filipo mwanamfalme wa Edinburgh, kwa dhifa ya kitaifa hotelini Treetops, ambayo sasa ni kivutio maarufu cha watalii. Hapa ndipo alipouanzia umalkia.[23] Alirudi Uingereza mara moja akiandamana na Hearne.
Kuanzia Oktoba 1952 mpaka Desemba 1959, Kenya ilikuwa katika hali ya hatari kufuatia uasi wa Mau Mau dhidi ya utawala wa Uingereza. Gavana aliomba na kupata msaada wa wanajeshi Waingereza na Waafrika, pamoja na King's African Rifles. Mnamo Januari 1953, Meja Jenerali Hinde aliteuliwa kuwa mkuu wa oparesheni ya kuzima uasi. Hali hii haikuimarika kwa kukosa uchunguzi, kwa hivyo Jenerali George Erskine aliteuliwa kuwa kamanda msimamizi wa majeshi ya kikoloni mnamo Mei 1953, akiungwa mkono hasa na Winston Churchill.
Kutiwa mbaroni kwa Warũhiũ Itote (aka General China) tarehe 15 Januari 1954, na kuhojiwa kwake kulipelekea Waingereza kuuelewa vyema usimamizi wa Mau Mau. Oparesheni Anvil iliyoanzishwa tarehe 24 Aprili 1954 ilipangwa na jeshi kwa wiki kadhaa baada ya kukubaliwa na kamati kuu ya vita. Wakati wa oparesheni hiyo, mji wa Nairobi ulidhibitiwa na wanajeshi na wakazi wake walihojiwa huku wafuasi wa Mau Mau wakikamatwa na kupelekwa vizuizini.
Mnamo Mei 1953, walinzi wa nyumbani walitambulika rasmi kama askari wa usalama. Askari hao wa nyumbani ndio waliounda kikosi cha kupambana na mikakati ya Mau Mau kwani walikuwa Waafrika waaminifu, na si majeshi ya kigeni kama Jeshi la Uingereza na King's African Rifles. Kufikia mwisho wa hali ya hatari, askari hao walikuwa wamewaua Mau Mau 4886, ambao ni asilimia 42% ya waasi wote. Kukamatwa kwa Dedan Kimathi huko Nyeri tarehe 21 Oktoba 1956 kuliashiria kushindwa kwa Mau Mau kukamaliza vita.
Baada ya uhuru
Utawala wa Kenyatta
Waafrika walichaguliwa moja kwa moja katika bunge la uwakilishi kwa mara ya kwanza mwaka wa 1957. Licha ya Waingereza kutamani kuwakabidhi mamlaka wapinzani wasio na siasa kali ya Kiafrika, ni chama cha Kenya African National Union (KANU) kilichoongozwa na Jomo Kenyatta kilichounda serikali punde tu kabla ya Kenya kupata uhuru tarehe 12 Desemba 1963. Tarehe 12 Desemba 1964, Kenya ilipotangazwa kuwa jamhuri, Kenyatta akawa rais wa kwanza.
Mwaka huohuo, jeshi la Kenya lilipigana na Vita vya Shifta dhidi ya kabila la Wasomali waliokusudia kuiona NFD imejiunga na Jamhuri ya Somalia. Mashifta walililemea jeshi la Kenya lakini baadaye walishindwa mwaka wa 1967.
Kenya ilitia saini mkataba na nchi ya Ethiopia mwaka wa 1969 unaodumu mpaka leo kwa kuhofia mashambulizi kutoka kwa jeshi la Somalia lililokuwa na nguvu zaidi.[24] Eneo la NFD nchini Kenya halijaendelea kutokana na kiangazi na mafuriko. Hata hivyo, wakimbizi wafanyabiashara wa Kisomali waliotajirika wamebadilisha mtaa wa Eastleigh uliokuwa wa mabanda na kuufanya kuwa ngome ya kibiashara katika sehemu kubwa ya mashariki mwa mji wa Nairobi.[25]
Utawala wa Moi
Mwaka wa 1978, Kenyatta alifariki na Daniel Arap Moi akawa rais. Moi alidumisha urais kwa kuchaguliwa bila kupingwa katika chaguzi za mwaka wa 1979, 1983 (uchaguzi wa dharura) na 1988, zote zikiwa zilifanyika chini ya katiba ya chama kimoja. Uchaguzi wa 1983 ulifanyika mwaka mmoja kabla ya wakati kutokana na njama ya kupindua serikali iliyokosa kufaulu tarehe 1 Agosti 1982.
Mapinduzi hayo yaliyotibuka yalipangwa na askari mwanahewa wa cheo cha chini, Bwana Hezekiah Ochuka na kuendelezwa hasa na wanahewa. Jaribio hilo lilizimwa kwa haraka na wanajeshi waaminifu wakiongozwa na Jeshi la Nchi Kavu, General Service Unit (GSU) - kikosi cha polisi wenye hadhi ya kijeshi - na baadaye polisi wa kawaida. Hata hivyo raia kadhaa walijeruhiwa na wengine kuuawa. Tukio hilo lilisababisha kuvunjwa kwa kikosi chote cha wanahewa, huku wengine wakiachishwa kazi na wengine wakishtakiwa kwenye mahakama ya kijeshi.
Katika uchaguzi wa 1988 kura za mlolongo zilianzishwa, ambapo wapigakura walitakiwa kupiga foleni nyuma ya wagombea uchaguzi wanaowapenda, badala ya kutumia kura ya siri[26] Jambo hilo lilionekana kama kilele cha enzi ya ukiukaji mkubwa wa demokrasia likasababisha msukumo mkuu wa mageuzi ya kikatiba. Vipengele vilivyokuwa na utata, kikiwemo kile kilichoruhusu chama kimoja pekee cha kisiasa, vilibadilishwa miaka iliyofuata.[27]
Katika uchaguzi wa kidemokrasia wa vyama vingi wa miaka ya 1992 na 1997, Daniel Arap Moi alichaguliwa tena.
Utawala wa Kibaki
Kulingana na katiba, mwaka 2002 Moi hakuruhusiwa kuwania urais tena, na Mwai Kibaki wa chama cha upinzani cha "National Rainbow Coalition" — NARC akachaguliwa kuwa rais. Uchaguzi huo ulitambulikana kuwa wa kidemokrasia na wachunguzi wa humu nchini na wa kimataifa na hivyo kuwa chanzo cha mageuzi makubwa ya kidemokrasia nchini Kenya.
Mnamo Desemba 2002, Wakenya walifanya uchaguzi uliokuwa wa kidemokrasia na uwazi ambao kwa kiasi kikubwa uliamuliwa kuwa huru na wa haki na wachunguzi wa kimataifa. Uchaguzi wa mwaka huo ulikuwa mwanzo mpya na uliiletea Kenya mabadiliko makuu ya kisiasa yaliyowezesha chama cha Kenya African National Union (KANU), kilichokuwa kimeitawala nchi tangu uhuru, kukabidhi kwa amani mamlaka kwa chama cha National Rainbow Coalition (NARK), uliokuwa muungano wa vyama vingi.
Chini ya uongozi wa Rais Mwai Kibaki, muungano wa vyama tawala ulihahidi kushughulikia ukuaji wa kiuchumi, kumaliza ufisadi, kuimarisha elimu na kuandika katiba mpya. Baadhi ya ahadi hizi zimeshatimizwa. Kuna elimu ya msingi ya bure. Mwaka wa 2007 serikali ilitangaza kuwa, kuanzia mwaka 2008 gharama ya masomo ya shule za upili itapunguzwa huku serikali ikilipia gharama zote za mafundisho.
Uchaguzi wa 2007
Katika uchaguzi mkuu uliofanyika tarehe 27 Desemba 2007, Rais Kibaki wa chama cha Party of National Unity (PNU) aliwania uchaguzi dhidi ya chama kikuu cha upinzani Orange Democratic Movement (ODM). Kulingana na wachunguzi wa kimataifa, uchaguzi huo ulikumbwa na udanganyifu na hivyo kutofikia kiwango kinachokubalika kimataifa. Chama cha ODM kilisambaratika na kupoteza 8 % ya kura zake kwa chama kipya cha Orange Democratic Movement-Kenya (ODM) - kikiongozwa na Kalonzo Musyoka. Kinyang’anyiro kilikuwa kikali kati ya mgombea wa ODM, Raila Odinga na Kibaki wa PNU. Kuhesabiwa kwa kura na Tume ya Uchaguzi ya Kenya kulionyesha Raila akiongoza kwa kura chache na baadaye kwa kura nyingi. Hata hivyo, kura zilipoendelea kuhesabiwa na Tume ya Uchaguzi, Kibaki alimkaribia mpinzani wake kwa kura, kisha akamshinda. Matokeo hayo yalisababisha maandamano na kulaumiwa kwa Tume ya Uchaguzi ya Kenya kwa kumpendelea Kibaki,hivyo Oginga akajitangaza “rais wa watu” na kutaka kura zihesabiwe tena.[28]
Maandamano hayo yalibadilika kuwa ghasia zilizosababisha kuharibiwa kwa mali.[29].[30] Viongozi mashuhuri wa Afrika, wakiongozwa na aliyekuwa katibu mkuu wa Umoja wa Mataifa Kofi Annan walisuluhisha mzozo huo wa kisiasa. Kundi la Annan liliungwa mkono na Umoja wa Mataifa, Jumuia ya Ulaya, Muungano wa Nchi za Afrika, Serikali ya Marekani na nchi nyingine maarufu ulimwenguni kote. Kwa habari zaidi rejelea Ghasia nchini Kenya (2007-2008).
Annan aliomba usaidizi kwa kamati yake ya upatanishi kutoka kwa shirika la kushughulikia mizozo la Uswisi lijulikanalo kama Kituo cha Mazungumzo ya Kihisani yaani Centre for Humanitarian Dialogue.
Serikali ya muungano
Tarehe 12 Februari 2008 Kibaki na Odinga walitia sahihi mkataba wa kuunda serikali ya muungano ambapo Odinga angekuwa waziri mkuu wa pili nchini Kenya. Kulingana na mkataba huo, rais angeteua baraza la mawaziri kutoka pande zote mbili za PNU na ODM kulingana na wingi wa wabunge wa kila chama bungeni. Mkataba huo ulieleza kuwa baraza la mawaziri litajumuisha Makamu wa Rais na manaibu wawili wa Waziri Mkuu. Baada ya majadiliano bungeni ilipitishwa kuwa muungano huo utadumu hadi mwisho wa kipindi cha bunge, ama chama kimoja kikijitoa kwenye muungano kabla ya kipindi cha bunge kuisha.
Wadhifa huo mpya wa waziri mkuu utakuwa na nguvu na mamlaka kuratibu na kusimamia shughuli za serikali. Vilevile itaongozwa na mbunge aliyechaguliwa ambaye pia atakuwa kiongozi wa chama au muungano wa vyama wenye idadi kubwa ya wabunge bungeni. Ulimwengu ulimshuhudia Annan na kamati yake iliyoungwa mkono na Umoja wa Mataifa na mwenye kiti wa muungano wa nchi za Afrika Jakaya Kikwete, walipowaleta pamoja wapinzani hawa sugu kwenye sherehe za kutia sahihi mkataba huu. Sherehe hizi zilionyeshwa moja kwa moja kwenya televisheni ya kitaifa kutoka kiingilio cha Jumba la Harambee mjini Nairobi. Wawakilishi wa PNU na ODM walianza majadiliano ya kina kuhusu ugavi wa mamlaka tarehe 29 Februari 2008.[31] Wabunge wa Kenya, kwa pamoja, waliidhinisha mkataba wa ugawaji mamlaka tarehe 18 mwezi wa Machi 2008 ili kuiokoa Kenya iliyoaminika kama mojawapo ya nchi thabiti na iliyoendelea barani Afrika. Mkataba huu uliunganisha PNU iliyoongozwa na Kibaki na ODM ya Odinga kisha kupelekea kuundwa kwa serikali ya muungano, vyama vyote viwili vikiwa na mamlaka sawa.[32]
Tarehe 13 Aprili 2008, Rais Kibaki aliitangaza baraza la mawaziri 41 wa serikali hii ya muungano ikijumuisha waziri mkuu na makamu wake wawili. Baraza hili lilijumuisha pia manaibu wa mawaziri 50 na lilitawazwa katika Ikulu ya Nairobi tarehe 17 Aprili 2008 huku Kofi Annan na viongozi wengine mashuhuri wakishuhudia.
Tarehe 4 Novemba 2008 ilitangazwa kuwa sikukuu ya kitaifa kusherehekea ushindi wa Barack Obama, ambaye baba yake alikuwa Mkenya, kama rais wa Marekani.
Katika sehemu za mashambani, kama wilayani Kisii, visa vya kuchoma watu wakidaiwa kuwa wachawi vinaongezeka.[33] Waathiriwa hasa ni wanawake wakongwe. Mnamo Mei 2008, watu 11 waliuwa na nyumba 30 kuchomwa.[34]
Siasa
Kenya ni jamhuri ya kidemokrasia ya kiuwakilishi inayoongozwa na rais, ambaye ndiye mkuu wa taifa na kiongozi wa serikali, na yenye mfumo wa vyama vingi. Serikali ndiyo yenye mamlaka ya juu.
Utungaji wa sheria ni jukumu la serikali na la bunge la taifa. Idara ya Mahakama ni huru, na imejitenga na serikali kuu na bunge. Hata hivyo, kulikuwa na kutoridhika kwingi, hasa katika enzi ya rais mstaafu Daniel Arap Moi, kuwa serikali iliingilia sana shughuli za mahakama.
Kenya imedumisha uthabiti wa kutosha licha ya mabadiliko katika mifumo yake ya kisiasa na michafuko katika nchi kadhaa jirani. Bunge la mseto wa vyama vingi la 1997 lilianzisha mageuzi yaliyobadilisha sheria za kikoloni zenye dhuluma zilizotumika kuuzuia uhuru wa kuongea na kutangamana. Jambo hilo liliimarisha uhuru wa umma na kuchangia kiasi kuaminika kwa uchaguzi wa Desemba 1997.
Kaunti na tarafa
Kenya ina kaunti 47, kila moja ikiongozwa na Mkuu wa Kaunti anayechaguliwa na watu ambao wanaishi kwenye hiyo kaunti.
Serikali za mitaa huendelezwa kupitia mabaraza ya miji. Maeneo mengi ya mijini huwa ni mji, manisipaa au baraza la mji. Serikali za mitaa katika maeneo ya mashambani huitwa serikali za wilaya. Madiwani wa mitaa hii huchaguliwa katika uchaguzi wa madiwani unaofanywa wakati mmoja na uchaguzi mkuu.
Maeneo ya uwakilishi bungeni yamegawanywa kwa sababu ya upigaji kura. Kuna maeneobunge 210 nchini Kenya.[35]
Idadi ya watu katika miji muhimu
Watu
Kenya ni nchi yenye makabila mengi tofautitofauti, hasa ya Kibantu (67%) na ya Kiniloti (). Wakenya wengi huzungumza lugha mbili, Kiingereza na Kiswahili, na asilimia kubwa pia huzungumza lugha mama ya kabila lao.
Makundi ya makabila ni kama ifuatavyo: Wakikuyu 22%, Waluyia 14%, Wajaluo 13%, Wakalenjin 12%, Wakamba 11%, Wakisii 6%, Wameru 6%, makabila mengine ya Kiafrika 15%, wasio Waafrika (Wahindi, Waingereza na Waarabu) 1% [3]
Kila kundi au kabila lina lugha yake na Kiswahili hutumika kama chombo cha kuwasiliana miongoni mwa makabila tofauti.
Dini
Upande wa dini, idadi kubwa ya Wakenya ni Wakristo: kulingana na sensa ya mwaka 2009, asilimia 82.5 ya wakazi wa Kenya walikuwa Wakristo (asilimia 47.4 ni Waprotestanti, asilimia 23.3 ni Wakatoliki, asilimia 11.8 ni Wakristo wa madhehebu mengine mbalimbali, wakiwemo Waorthodoksi 621,200), asilimia 11.1 ni Waislamu, asilimia 1.6 ni wafuasi wa dini asilia za Kiafrika, asilimia 1.7 ni wa makundi mengine ya dini (kuna Wahindu takribani 300,000, ambao wameingiliana vyema na Wakenya wengine na huchangia pakubwa uchumi wa nchi), na asilimia 2.4 wanadai hawana uhusiano na dini yoyote ile.[36]
Asilimia 60 ya idadi ya Waislamu huishi katika Mkoa wa Pwani, wakiwa asilimia 50 ya jumla ya wakazi wa pale. Wengi wa wanaoishi sehemu ya magharibi mkoani Pwani ni Wakristo. Eneo la kaskazini la Mkoa wa Mashariki ni makazi ya asilimia 10 ya jumla ya Waislamu nchini; hii ndiyo dini ya wakazi wengi wa hapa, na mbali na idadi ndogo ya Wasomali wanaoishi Nairobi, idadi kubwa ya Wakenya wengine ni Wakristo.[37]
Utamaduni
Kenya ni nchi yenye tamaduni anuwai. Tamaduni zinazotambulika ni pamoja na Waswahili walio katika eneo la pwani, jamii za wafugaji katika eneo la kaskazini na jamii nyingine mbalimbali katika maeneo ya kati na magharibi.
Wajaluo wa Kenya ni wazawa wa jamii za wakulima na wafugaji walioishi magharibi mwa Kenya kabla ya ukoloni. Inafahamika kwamba asili ya Wajaluo na makabila mengine ya Waniloti ni kaskazini mwa Kenya, pengine maeneo ya Sudan Kusini ya sasa. Waniloti, kama wanavyoitwa, ni kikundi cha kianthropolojia kilichotoka maeneo ya kaskazini mashariki mwa Afrika. Pengine walihamia kusini kutokana na vita vilivyosababishwa na ukuaji wa Kush na Misri. Waniloti nchini Kenya ni Wajaluo, Waturkana, Wakalenjin na Wamasai. Hili linadhihirika kutokana na kuwepo kwa lahaja zinazofanana kati ya makabila fulani nchini Sudan Kusini leo. Makabila haya ni pamoja na Akoli na Lwo (si sawa na Luo) wanaoishi katika eneo la Darfur.
Kuna makabila mengine ya Waniloti yanayoishi nchini Uganda na Tanzania. Hii hasa ni kwa sababu ya Wajaluo kuvutiwa na Ziwa Victoria, ambako wanapatikana katika nchi hizi tatu (Uganda, Tanzania na Kenya). Nchini Uganda, wanajulikana kwa kuanzisha himaya ya Waganda na ya himaya ya Watoro. Wajaluo nchini Kenya walipigana vita na majirani wao, hasa Wakalenjin, ili kulidhibiti ziwa hilo.
Leo hii, utamaduni wa Wamaasai unajulikana sana kwa kuangaziwa vilivyo na utalii, hata hivyo Wamaasai ni asilimia ndogo ya idadi ya Wakenya kwa jumla. Wamaasai wanatambulika kwa kujipamba sehemu ya juu ya mwili na kwa vito.
Kenya ina utajiri mwingi wa muziki, vituo vya runinga na maonyesho ya sanaa.
Elimu
Mfumo wa elimu nchini Kenya unajumuisha elimu ya chekechea, ya msingi, ya sekondari na ya vyuo. Elimu ya watoto wadogo aghalabu huchukua miaka mitatu, ya msingi miaka minane, sekondari minne na chuo kikuu miaka minne au sita kwa kutegemea kozi.
Shule za chekechea, ambazo ni za watoto wa umri wa miaka mitatu hadi mitano, ni sehemu muhimu ya mfumo huu wa elimu na ni kigezo muhimu kabla ya kusajiliwa katika darasa la kwanza (Gredi ya Kwanza).
Mwishoni mwa elimu ya msingi wanafunzi hufanya mtihani wa Cheti cha Kuhitimu Masomo ya Msingi Kenya (KCPE), ambao huamua watakaojiunga na shule ya sekondari au vyuo vya ufundi. Umri wa shule ya msingi ni miaka 6/7 hadi 13/14.
Wale wanaojiunga na shule ya upili hufanya mtihani wa taifa mwishoni mwa kidato cha nne - Mtihani wa Cheti cha Kuhitimu Masomo ya Shule ya Upili Kenya (KCSE), ambao huamua watakaojiunga na vyuo vikuu, vyuo vya taatuma nyinginezo au kuajiriwa. Baraza Kuu la Usajili (JAB) ndilo lenye jukumu la kuwachagua wanafunzi watakaojiunga na vyuo vikuu vya umma. Mbali na shule za umma, kuna shule nyingi za binafsi nchini, hasa katika sehemu za miji. Vilevile, kuna shule kadhaa za kimataifa zinazofundisha mifumo mbalimbali ya elimu ya ng'ambo.
Historia ya elimu
Mfumo wa kwanza wa elimu nchini Kenya baada ya uhuru uliletwa na wakoloni Waingereza. Baada ya Kenya kupata uhuru tarehe 12 Desemba 1963, Tume ya Ominde iliundwa ili kuleta mabadiliko ya kielimu ambayo yangeakisi matarajio ya taifa huru la Kenya. Tume hii ilimulika maswala ya usawa na umoja, ambayo yalikuwa maswala muhimu wakati huo. Mabadiliko ya kilichofundishwa katika historia na geografia yalifanywa ili kuakisi umoja wa kitaifa. Kati ya 1964 na 1985, mfumo wa 7-4-2-3 ulifuatwa (miaka saba masomo ya msingi, miaka minne sekondari ya daraja la chini, miaka miwili sekondari ya daraja la juu, na miaka mitatu masomo ya chuo kikuu). Shule zote zilifuata mtaala mmoja.
Mwaka wa 1981, kamati iliyoteuliwa na rais kuratibu namna ya kuanzisha chuo kikuu cha pili nchini Kenya na pia kwa jumla kuubadilisha mfumo wa elimu ilianza kazi yake. Kamati hii ilipendekeza kuwa mfumo ule wa 7-4-2-3 ubadilishwe kuwa mfumo wa 8-4-4 (miaka minane shule ya msingi, miaka minne shule ya upili, miaka minne ya elimu ya chuo kikuu). Jedwali lililo katika Elimu ya Sasa Nchini Kenya linaonyesha muundo wa mfumo wa 8-4-4. Ingawa mfumo wa 7-4-2-3 kinadharia ulifikia kikomo mfumo wa 8-4-4 ulipoanzishwa mwaka wa 1985, kundi la mwisho la mfumo huo wa awali lilihitimu kutoka vyuo vikuu vya Kenya mwaka wa 1992.
Elimu nchini Kenya sasa
Mfumo wa sasa wa 8-4-4 ilizinduliwa Januari 1985. Ulitilia mkazo masomo ya kiufundi kwa matarajio kuwa, muundo huu mpya utawawezesha wanaoacha shule katika viwango mbalimbali aidha kujiajiri wenyewe au kupata ajira katika sekta ya juakali.
Mnamo Januari 2003, Serikali ya Kenya ilitangaza kuanzishwa kwa masomo ya shule za msingi bila malipo. Hili lilipelekea kuongezeka kwa wanafunzi waliojiunga na shule za msingi kwa asilimia 70%. Hata hivyo, idadi ya waliojiunga na shule za upili na vyuo haikuongezeka sana kwa sababu malipo bado yalihitajika ili kuhudhuria masomo.
Mtihani wa kuhitimu cheti cha masomo ya msingi nchini Kenya (KCPE) hufanywa katika darasa la nane. Matokeo ya mtihani huu huhitajika ili kusajiliwa katika shule ya upili. Mtihani wa kuhitimu cheti cha masomo ya shule ya upili nchini Kenya (K.C.S.E.) hufanywa katika kidato cha nne. Wanafunzi hufanya mtihani katika masomo nane.
Mfumo wa kutuza Gredi za KCSE
Gredi ya wastani hutegemea jinsi mwanafunzi hupita masomo haya nane. Endapo mtahiniwa atafanya zaidi ya masomo manane, gredi ya wastani itategemea masomo manane ya kwanza anayopita vyema zaidi. Kujiunga na chuo kikuu hutegemea masomo manane yanayopitwa zaidi na jinsi masomo fulani yamepitwa kutegemea kozi ya shahada fulani.
Kwa mfano:
Jumla ya pointi ni 81.
Gredi ya wastani ni 81 na ukiigawa mara 8, ni sawa na 10.1 (hii ni karibu sawa na pointi10.0) ambayo ni B+ kwa mujibu wa mfumo wa gredi. Mwanafunzi apataye gredi kama hii hufaulu kujiunga na mojawapo ya vyuo vya umma kwa kupata gredi nzuri. Taasisi za mafunzo, vitivo na idara huamua mahitaji ya kimsingi ya kujiunga navyo.
Wanafunzi wanaopata gredi ya C+ hufaulu kusomea kozi ya shahada fulani katika chuo kikuu. Kwa sababu ya ushindani mkubwa na nafasi chache katika vyuo vikuu, wale wanaopata gredi ya B na wakati mwingine B- na zaidi huchukuliwa kusomea shahada mbalimbali katika vyuo vya umma na hufaidi kwa kulipa karo iliyotolewa ruzuku na serikali. Wale wengine hujiunga na vyuo vikuu vya kibinafsi au na vyuo vya kati.
Jambo la kushangaza ni kuwa wanafunzi wanaojiunga na vyuo vikuu vya umma kupitia J.A.B. hutegemea jumla ya nafasi za kulala zinazopatikana katika vyuo vyote vya umma. Hata hivyo wanaokosa nafasi hizi, ingawa walipata gredi za chini zaidi za kujiunga na vyuo vikuu C+ au C, wakiwa na cheti cha diploma fulani husajiliwa kupitia mpango wa kujilipia karo katika vyuo vikuu (Module II) ikiwa wanaweza kujilipia karo yote ya kozi husika.
Jambo hili limezua mjadala mkali huku watu wakiuliza sababu na uadilifu wa kuwafungia nje wanafunzi waliofaulu kujiunga na vyuo vya umma kisha kuwasajili wanaotoka kwa familia zenye uwezo wa kifedha.
Ukosoaji
Mfumo wa elimu wa Kenya 8-4-4 umepitia mengi magumu katika kipindi kirefu ulichodumu. Punde tu baada ya kufuzu kwa kundi la kwanza la wanafunzi wa mfumo huu mwaka wa 1989, wananchi wengi walijitokeza kuilaumu na kuihukumu serikali kwa kuuanzisha mfumo huu". Wakosoaji hawa walidai kuwa waliohitimu walikuwa hawajaandaliwa vyema na hawangeweza kushindana na wenzao kutoka sehemu nyingine za ulimwengu. Wengine walihoji kuwa waliofuzu kupitia kwa mfumo huu walikuwa aidha wachanga sana au hawajaandaliwa vyema kwa nafasi za kazi zilizokuweko. Serikali haikusikiza haya yote pengine kwa sababu uwezekano wa kuubadilisha na kuuunda upya kungeigharimu pesa nyingi.
Hata hivyo, kwa miaka mingi waliofuzu wamewaaibisha walioupinga kwa kufualu katika vyuo vya nchini na ng’ambo. Kwa hakika kuhama kwa wasomi na wafanyakazi wa afya hadi nchi zilizoendelea ni dhihirisho tosha la hali hii. Wengi waliofuzu kupitia kwa mfumo huu wamefaulu katika vyuo vikuu vya ng’ambo.
Mkazo uliotiliwa masomo ya ufundi umefifia na mabadiliko ya hivi juzi katika mtaala yanasisitiza teknolojia ya ubadilishanaji habari, sayansi, hesabu na lugha. Kwa vyovyote vile, kazi ya kiakademia na kusisitizwa kwa kupita mitihani iliyoandikwa hakujaacha nafasi kwa useremala, uashi, upishi na mafunzo mengine ya ufundi.
Michezo
Kenya hushiriki katika michezo mbalimbali ikiwemo kriketi, mbio za magari, soka, raga na ngumi. Lakini nchi hii inajulikana hasa kwa kutawala katika mbio za masafa ya kadiri na mbio za masafa marefu. Kenya, kwa muda mrefu, imetoa mabingwa wa Olimpiki na michezo ya Jumuia ya Madola katika nyanja mbalimbali, hasa katika mbio za mita 800, mita 1,500, mita 3,000 kuruka viunzi na maji, mita 5,000, mita 10,000 na mbio za masafa marefu. Wanariadha wa Kenya (hasa wa kabila ya Wakalenjin) wanaendelea kutawala mbio za masafa ulimwenguni, ingawa ushindani kutoka nchi ya Morocco na Ethiopia umepunguza umaarufu huu. Wanariadha wa Kenya wanaosifika sana ni pamoja na mshindi mara-nne wa mbio za masafa marefu za Boston kwa wanawake na mshindi mara-mbili wa mbio za dunia Catherine Ndereba, aliyeshikilia rekodi ya awali ya mbio za dunia Paul Tergat, na John Ngugi.
Wakati wa michezo ya Olimpiki ya Beijing Kenya ilishinda medali 6 za dhahabu, 4 za fedha, 4 za shaba na kulifanya taifa lililofaulu sana barani Afrika katika michezo ya Olimpiki ya mwaka 2008. Wanariadha wapya walitambulikana, kama Pamela Jelimo, mshindi wa medali ya dhahabu katika mbio za mita 800 kwa wanawake aliyejitahidi na kushinda tuzo la Golden League, na Samuel Wajiru aliyeshinda mbio za masafa marefu kwa wanaume.
Bingwa mstaafu wa mbio za Olimpiki na za Jumuia ya Madola, Kipchoge Keino, alisaidia kuanza ubingwa wa mbio za masafa marefu miaka ya 1970 akafuatwa na bingwa wa michezo ya Jumuia ya Madola, Henry Rono, aliyeshikilia rekodi kadhaa za dunia.
Hivi majuzi, kumekuwa na mzozo wa wanariadha wa Kenya waliosaliti nchi yao na kuwakilisha nchi nyingine, hasa Bahrain na Qatar.[38] Wizara ya michezo ya Kenya imejaribu kuzuia usaliti huu, lakini umeendelea tu, Bernard Lagat akiwa wa mwisho, akichagua kuiwakilisha Marekani.[38] Usaliti huu, kwingi unatokana na sababu za kiuchumi au kifedha ingawa pia wanariadha wazuri wasioweza kufaulu katika timu nzuri ya taifa huona ni rahisi kufaulu kwa kukimbilia nchi nyingine.
Kenya pia imetawala voliboli ya wanawake hapa Afrika, huku vilabu na timu ya taifa ikishinda mashindano kadhaa barani Afrika katika mwongo uliopita. Timu ya wanawake pia imeshiriki katika michezo ya Olimpiki na Mashindano ya Ulimwengu ingawa haijafaulu vilivyo.
Mchezo wa kriketi ni maarufu na pia ni mchezo wa timu ambao umefaulu sana. Kenya imeshiriki katika Kombe la Dunia la Kriketi tangu mwaka 1996. Timu hii ilishinda baadhi ya timu maarufu ulimwenguni na kufikia semifainali katika mchuano wa mwaka 2003. Walishinda ligi ya kriketi ya dunia daraja la 1 iliyofanyika Nairobi kwa mara ya kwanza, kisha wakashiriki katika mchuano wa ulimwengu wa T20. Nahodha wa sasa wa timu ni Collins Obuya.
Kenya imejiundia jina katika muungano wa raga. Mchezo huo ni maarufu nchini hasa kwa sababu ya mchuano wa kila mwaka wa Safari Sevens. Timu ya Kenya ya raga ya wachezaji saba kila upande ilikuwa nambari ya 9 katika michezo ya dunia ya wachezaji saba IRB katika msimu wa mwaka 2006.
Kenya ilikuwa bingwa wa soka katika eneo hili lakini ubingwa huu umefifia kutokana na kutoelewana kwa maafisa wa Kamati ya Soka Nchini.[39] Mizozo hii ilipelekea Kenya kupigwa marufuku na FIFA, lakini marufuku hii iliondolewa mnamo Machi 2007.
Kwa upande wa mbio za magari, Kenya ndio waandalizi wa mbio za magari maarufu za Safari Rally zinazotambulika kuwa ngumu zaidi ulimwenguni,[40] na ambazo ni sehemu ya Bingwa wa Mbio za Magari kwa miaka mingi hadi kuondolewa kwake baada ya mbio za 2002 kwa sababu ya matatizo ya kifedha. Baadhi ya madereva maarufu wa mbio za magari ulimwenguni walioshiriki na kushinda mbio hizi ni Bjorn Waldegard, Hannu Mokkola, Tommi Makinen, Shekhar Mehta, Carlos Sainz na Colin McRae. Ingawa mbio hizi bado huendelea kila mwaka kama sehemu ya kutafuta Bingwa wa Mbio za Magari Afrika, waandalizi wanatarajia kuruhusiwa kujiunga tena na Ubingwa wa Magari Ulimwenguni katika miaka michache ijayo.
Fasihi
Ngugi wa Thiong'o ni mmoja wa waandishi maarufu wa Kenya. Kitabu chake, en:Weep Not, Child ni ufafanuzi wa maisha yalivyokuwa Waingereza walipoitwaa Kenya. Hii ni hadithi kuhusu athari za Mau Mau katika maisha ya Wakenya weusi. Kinavyochanganya maudhui - ukoloni, elimu, na mapenzi - kunakifanya kuwa kimojawapo kati ya vitabu bora vya hadithi barani Afrika.
Kitabu cha hadithi cha M. G. Vassanji The In-Between World of Vikram Lall kilishinda tuzo la Giller Prize mwaka 2003. Hii ni hadithi ya kubuni ya Mkenya mwenye asili ya Kihindi na familia yake wavyojizatiti na mabadiliko ya kisiasa wakati wa ukoloni na baada ya ukoloni nchini Kenya.
Kuanzia mwaka wa 2003, jarida la fasihi Kwani? limekuwa likichapisha fasihi ya kisasa ya Kenya.
Uchumi
Baada ya uhuru, Kenya iliendeleza ukuaji wa kiuchumi haraka kupitia kwa uwekezaji wa umma, kuhimiza uzalishaji wa kilimo, na kushawishi uwekezaji wa watu binafsi na wageni katika viwanda. Pato la taifa lilikua kwa asilimia 6.6 kuanzia 1963 hadi 1973. Uzalishaji wa kilimo ulikua kwa asilimia 4.7 kila mwaka kwa kipindi hicho ukiwa umechochewa na ugawaji upya wa mashamba, kuanzishwa kwa kilimo cha mimea iliyoimarishwa, na kuanzisha mashamba mapya.
Hata hivyo, kati ya 1974 na 1993 ukuaji wa uchumi wa Kenya ulipungua. Kupungua kwa kilimo kulisababishwa na sera za kilimo zisizofaa, mikopo isiyotosha na vikwazo visiyofaa vya biashara ya kimataifa.
Mnamo mwaka wa 1993, Serikali ya Kenya ilianzisha mpango mkuu wa kuimarisha uchumi na kuufanya huru. Waziri mpya wa fedha na gavana mpya wa Benki Kuu ya Kenya walianza mikakati iliyofuatana kuimarisha uchumi kwa usaidizi wa Benki ya Dunia na Shirika la Fedha la Kimataifa). Kama sehemu ya mpango huu, serikali iliondoa usimamizi wa bei za bidhaa, leseni za uagizaji na uthibiti wa ubadilishaji fedha, kubinafsisha kampuni nyingi zilizomilikiwa na umma, kupunguza idadi ya wafanyi kazi wa serikali na kuanzisha sera madhubuti za kulinda fedha. Kuanzia mwaka wa 1994 hadi 1996 ukuaji halisi wa uchumi wa Kenya ulikadiriwa juu kidogo ya asilimia 4 kwa mwaka.
Hata hivyo, kati ya 1997 na 2000, uchumi uliingia kipindi cha kupungua au kutoimarika, kwa sababu ya hali mbaya ya anga na kupungua kwa shughuli za kiuchumi. Mwaka wa 2001 pato la taifa liliimarika kiasi kwani mvua ilirejea kunyesha karibu na viwango vya awali. Ukuaji wa kiuchumi uliendelea kuimarika kiasi mwaka wa 2002 na kufikia asilimia 1.4 mwaka wa 2003, asilimia 4.3 mwaka wa 2004, kisha asilimia 5.8 mwaka wa 2005.
Mnamo Julai 1997, Serikali ya Kenya ilikataa kutimiza makubaliano ya awali na IMF kuhusu mabadiliko ya utawala wake. Jambo hili lilisababisha kukatizwa kwa misaada kwa miaka 3, nayo Benki ya Dunia ikaubana mkopo wa dola milioni 90 za mpango wa kuufufua uchumi. Ingawa mabadiliko mengi ya kiuchumi yaliyofanywa kati ya 1993-94 yalibakia, wataalamu wa maswala ya kiuchumi wasiopendelea mabadiliko waliamini kuwa Kenya iliitaji mabadiliko zaidi, hasa ya kiutawala ili kuongeza ukuaji wa pato la taifa (GDP).
Serikali ya Kenya ilichukua hatua yakini za mabadiliko, pamoja na kuunda Tume ya Kupambana na Ufisadi (KACA), kuanzisha hatua za kuimarisha uwazi wa katika mikakati ya serikali kupata bidhaa na kupunguza fedha inayotumiwa na serikali kulipia mishahara. Mnamo Julai 2000, shirika la IMF lilitia saini dola milioni 150 za Poverty Reduction and Growth Facility (PRGF), nayo Benki ya Dunia ilifuatia na mkopo wa dola milioni 157 kuimarisha uchumi na kuibadilisha sekta ya umma. Mwezi wa Desemba 2000, iliamuliwa kuwa tume ya kupambana na ufisadi haikuwa ya kikatiba na sehemu za juhudi za mabadiliko kukatizwa mwaka 2001. Shirika la IMF na Benki ya Dunia zilikatiza mipango yao. Juhudi zilizofanywa kuanzisha upya mipango hii katikati ya mwaka wa 2002 hazikufaulu.
Chini ya uongozi wa Rais Kibaki, aliyechukua hatamu za uongozi tarehe 30 mwezi wa Desemba 2002, serikali ya Kenya ilianzisha mipango mipya na kabambe ya uimarishaji uchumi na imerejelea ushirikiano wake na Benki ya Dunia na IMF. Serikali mpya ya National Rainbow Coalition (NARC) iliidhinisha Sheria dhidi ya Ufisadi na Uhalifu wa Kiuchumi pamoja na Sheria ya Maadili ya Watumishi wa Umma mnamo Mei 2003 iliyolenga kupiga vita ufisadi katika ofisi za umma. Mabadiliko mengine, hasa katika idara ya sheria, kuagiza bidhaa za umma na kadhalika yamepelekea kurejelewa kwa misaada na matumaini ya kuimarisha uchumi. Kufuatia kupitishwa kwa sheria muhimu za kupambana na ufisadi na serikali mpya, wafadhili walirejelea ufadhili mwezi wa Novemba 2003 na IMF ikaidhinisha msaada wa miaka mitatu wa dola milion 250 ili kupunguza umaskini na kuimarisha uchumi. Wafadhili wakatoa dola bilioni 4.2 kama msaada wa miaka minnne. Kurejelewa kwa ufadhili na kujihusizisha upya kwao kumevutia imani ya wawekezaji.
Mswada wa ubinafsishaji umeidhinishwa ingawa kuanzishwa kwa tume ya ubinafsishaji hakujakamilika, mabadiliko katika utendakazi wa umma yametekelezwa na mwaka wa 2007 Kenya ilishinda tuzo la Umoja wa Kimataifa la Utendakazi wa Umma.[41][42] Hata hivyo, kazi nyingi zinahitajika kufanywa ili kuiwezesha nchi hii kuyafikia mataifa yaliyoendelea sana kiuchumi, hasa yale ya Mashariki ya Mbali. Changamoto kuu ni pamoja na kuchukua hatua thabiti dhidi ya ufisadi, kupitisha sheria zinazoshughulikia ugaidi na biashara haramu, kutatua upungufu wa ufadhili wa bajeti kisha kurekebisha na kuunda miundo msingi. Inaaminika haya yatasaidia kudumisha sera za kimsingi za kiuchumi, na kuhakikisha ukuaji wa kasi wa kiuchumi uliofikia asilimia 7.2 mwaka wa 2007.
Mwaka wa 2007, serikali ya Kenya ilizindua Ruwaza 2030, ambao ni mpango wa kiuchumi wenye matumaini makuu na ambao ikiwa utatekelezwa kikamilifu , una uwezo wa kuifanya nchi hii kuwa katika kiwango sawa na mataifa yaliyoendelea kiuchumi ya Asia.
Nairobi inaendelea kuwa kituo muhimu na cha kimsingi kwa mawasiliano na biashara cha Afrika Mashariki. Kinajivuna kuwa na miundo msingi ya uchukuzi na mawasiliano bora zaidi katika eneo hili, na wafanyi kazi wenye ujuzi. Makampuni mengi ya kigeni hudumisha matawi yao katika eneo hili ama ofisi za kuyawakilisha mjini Nairobi. Mnamo Machi 1996, Marais wa Kenya , Tanzania na Uganda waliifufua Jumuia ya Afrika Mashariki (EAC). Shabaha za EAC ni pamoja na kasawazisha kodi na ada zinazotozwa bidhaa, utembeaji huru wa watu na kuimarisha miundo msingi katika eneo hili. Nchi hizi tatu za Afrika Mashariki zilitia saini mkataba wa Customs Union Agreement mwezi wa Machi 2004.
Utafutaji wa mafuta
Mwanzoni mwa mwaka wa 2006 Rais wa Uchina, Hu Jintao, alitia saini kandarasi ya utafutaji wa mafuta na Kenya. Haya ndiyo makubaliano ya hivi punde kati ya mfululizo wa mapatano yaliyopagwa kuelekeza maliasili ya Afrika huko Uchina ambako uchumi wake waendelea kukua kwa haraka.
Kandarasi hii iliwezesha kampuni inayoongozwa na taifa la Uchina “offshore oil and gas company” CNOOC Ltd kutafuta mafuta Kenya, ambayo ilianza kuchimba visima vya kwanza mpakani mwa Sudan na Somalia na katika maji ya upwa wake.[43]
Tazama pia
Orodha ya miji ya Kenya
Orodha ya Makabila nchini Kenya
Orodha ya Hifadhi za Taifa nchini Kenya
Orodha ya benki nchini Kenya
Orodha ya nchi kufuatana na wakazi
Orodha ya nchi za Afrika kulingana na idadi ya watu
Orodha ya nchi za Afrika kulingana na msongamano wa watu
Orodha ya nchi za Afrika kulingana na pato la taifa
Demografia ya Afrika
Marejeo
Viungo vya nje
Serikali
Ofisi Mnenaji wa Serikali ya Jamhuri ya Kenya.
Official site.
Legislation Kenya, Uchunguzi Sheria, Official Gazette Notices na kisheria Info.
Official site State House, Kenya.
Jumla
Maelezo ya nchi (Country Profile) kutoka BBC News
kutoka Encyclopaedia Britannica
kutoka UCB Libraries GovPubs
at Curlie
Vyombo vya habari
orodha kutoka Chuo Kikuu cha Stanford
Utalii
rasmi kusafiri na utalii kuongoza
Historia
Nyingine
Academic bibliography, hasa kwa Kiingereza, compiled by Jan Hoorweg, Afrika-Studiecentrum, Leiden.
Check date values in: |date= (help)
Mkusanyiko wa habari kutoka Kenya.
(IFAD)
A photographic mkabala na uzuri wa Kenya.
Mkusanyiko wa Kazi kutoka kenya.
Solar kupikia historia na maendeleo ya hivi karibuni nchini Kenya
Mkusanyiko wa habari kutoka Kenya.
*
Jamii:Nchi za Afrika
Jamii:Afrika ya Mashariki
Jamii:Jumuiya ya Madola | https://sw.wikipedia.org/wiki/Kenya |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1370,
2240,
3056,
4161,
4525,
5180,
7094,
7488,
7818,
9472,
10153,
11139,
11822,
12322,
12449,
13533,
14289,
15408,
17048,
17509,
17910,
18821,
19721,
20759,
21330,
22558,
24412,
27349,
27728,
28571,
29752,
30042,
30172,
31133,
31819,
33006,
33484,
34571,
35973,
36322,
36961,
37117,
37403,
39356,
40003,
40746,
40830,
41150,
41402,
42110,
43015,
44402,
45285,
46164,
47018,
48025,
48187,
48487,
48616,
49348
],
"plaintext_end_byte": [
1369,
2239,
3009,
4132,
4524,
5179,
7093,
7487,
7791,
9471,
10066,
11138,
11821,
12310,
12448,
13532,
14288,
15407,
17047,
17508,
17849,
18820,
19720,
20758,
21304,
22525,
24381,
27262,
27727,
28570,
29751,
30030,
30171,
31132,
31818,
33005,
33483,
34570,
35972,
36321,
36960,
37116,
37326,
39305,
40002,
40745,
40829,
41149,
41351,
42109,
42996,
44369,
45254,
46125,
47017,
48004,
48148,
48486,
48582,
49347,
50098
]
} | في أي عام تم إسقاط القنبلة النووية علي مدينة هيروشيما ؟ | القصف الذري على هيروشيما وناجازاكي | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
246
],
"minimal_answers_end_byte": [
261
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
القصف الذرّي على هيروشيما وناجازاكي هو هجوم نووي شنته الولايات المتحدة ضد الإمبراطورية اليابانية في نهاية الحرب العالمية الثانية في أغسطس 1945، قامت الولايات المتحدة بقصف مدينتي هيروشيما وناجازاكي باستخدام قنابل نووية بسبب رفض تنفيذ إعلان مؤتمر بوتسدام وكان نصه أن تستسلم اليابان استسلاما كاملا بدون أي شروط، إلا أن رئيس الوزراء الياباني سوزوكي رفض هذا التقرير وتجاهل المهلة التي حدَّدها إعلان بوتسدام. وبموجب الأمر التنفيذي الذي أصدره الرئيس هاري ترومان، قامت الولايات المتحدة بإطلاق السلاح النووي الولد الصغير على مدينة هيروشيما (يوم الاثنين 27 شعبان عام 1364 هـ / الموافق 6 أغسطس عام 1945 م).[1][2] ثم تلاها إطلاق قنبلة الرجل البدين على مدينة ناجازاكي في التاسع من شهر أغسطس. وكانت هذه الهجمات هي الوحيدة التي تمت باستخدام الأسلحة النووية في تاريخ الحرب.[3]
قتلت القنابل ما يصل إلى 140،000 شخص في هيروشيما، و80،000 في ناغازاكي بحلول نهاية سنة 1945، [4] حيث مات ما يقرب من نصف هذا الرقم في نفس اليوم الذي تمت فيه التفجيرات. ومن بين هؤلاء، مات 15-20 ٪ متأثرين بالجروح أو بسبب آثار الحروق، والصدمات، والحروق الإشعاعية، يضاعفها الأمراض، وسوء التغذية والتسمم الإشعاعي.[5]
ومنذ ذلك الحين، توفي عدد كبير بسبب سرطان الدم (231 حالة) والسرطانات الصلبة (334 حالة)، تأتي نتيجة التعرض للإشعاعات المنبثقة من القنابل.[6]
وكانت معظم الوفيات من المدنيين في المدينتين.[7][8][9]
وبعد ستة أيام من تفجير القنبلة على ناغازاكي، في الخامس عشر من أغسطس، أعلنت اليابان استسلامها لقوات الحلفاء. حيث وقعت وثيقة الاستسلام في الثاني من شهر سبتمبر، مما أنهي الحرب في المحيط الهادئ رسمياً، ومن ثم نهاية الحرب العالمية الثانية. كما وقعت ألمانيا [2] وثيقة الاستسلام في السابع من مايو، مما أنهى الحرب في أوروبا. وجعلت التفجيرات اليابان تعتمد المباديء الثلاثة غير النووية بعد الحرب، والتي تمنع الأمة من التسلح النووي.[10]
خلفية عامة
مشروع مانهاتن
قامت الولايات المتحدة بالتعاون مع المملكة المتحدة وكندا خلال مشاريعهم السرية: سبائك الأنابيب ومختبرات نهر تشوك، [11][12] بتصميم وبناء أول قنبلة نووية في إطار مشروع مانهاتن. وقام الفيزيائي الأمريكي روبرت أوبنهايمر بإدارة البحث العلمي. صُنعت قنبلة هيروشيما، وهي قنبلة ذات انشطار مصوب تسمى بـ"ليتل بوي"، من اليورانيوم 235. وهو نظير نادر لليورانيوم. وتم اختبار القنبلة الذرية للمرة الأولى في ترينيتي، في السادس عشر من شهر يوليو عام 1945، بالقرب من ألاموغوردو، نيو مكسيكو. يعد سلاح ال"جادجيت" وقنبلة ناغازاكي "فات مان" من الأنواع ذات الانشطار الداخلي، وتم صناعتهما من البلوتونيوم 239، وهو عنصر اصطناعي.[13]
اختيار الأهداف
وفي العاشر والحادي عشر من شهر مايو عام 1945، رشحت لجنة تحديد الهدف في لوس ألاموس، بقيادة روبرت أوبنهايمر، كيوتو، وهيروشيما، ويوكوهاما، وكوكورا كأهداف محتملة. واعتمد اختيار الهدف على المعايير التالية:
يجب أن يكون قطر الهدف أكثر من ثلاثة أميال وهدفاً مهماً في منطقة حضرية كبيرة.
يجب أن يؤدي الانفجار إلى أضرار فعلية.
أن يكون من المستبعد الهجوم على الهدف في شهر أغسطس عام 1945. "يجب على أي هدف عسكري صغير ودقيق أن يقع في منطقة كبيرة لتتعرض للأضرار الناجمة عن الانفجار، ومن أجل تجنب مخاطر الأسلحة النووية التي لا داعي لها، وفقدها نتيجة وضع القنبلة في المكان الخاطيء." [14]
لم تتأثر هذه المدن خلال الغارات الليلية وهجمات الجيش، ووافق سلاح الطيران على حذفهم من القائمة المستهدفة حتى يتم تقييم السلاح بدقة. وكانت هيروشيما توصف بأنها "مستودع عسكري هام وميناء يمكن المغادرة من خلالها في وسط منطقة صناعية حضرية. كما أنها هدف راداري مهم، وحجمها كبير بحيث سيتعرض جزء كبير من المدينة لأضرار جسيمة. وستؤدي التلال المجاورة إلى إحداث تأثير تركيزي، ومن ثم زيادة ضرر الانفجار. ولكن وجود الأنهار لا يجعلها هدفاً مثيراً للنيران." [14] كان الهدف من استخدام هذا السلاح هو إقناع اليابان للاستسلام دون شروط، وفقاً لما جاء في إعلان بوتسدام. وذكرت لجنة تحديد الأهداف أن "للعوامل النفسية أهمية كبيرة في اختيار الهدف. ومن هذه الجوانب: (1) التأثير النفسي على اليابان بقدر المستطاع، (2) وجعل الاستخدام الأولي للسلاح مثيراً، وذلك ليعترف العالم أجمع بأهميته عندما يتم إطلاقه. وفي هذا الصدد، يتمتع أهل كيوتو بدرجة عالية من الذكاء، وبالتالي هم أكثر قدرة على تقدير أهمية هذا السلاح. بينما تتمتع هيروشيما بحجمها الكبير والجبال القريبة، ومن ثم يمكن تدمير جزء كبير من المدينة. ويحظى قصر الإمبراطور في طوكيو بشهرة أكبر من أي هدف آخر، ولكنه ذات قيمة استراتيجية أقل.[14]
وخلال الحرب العالمية الثانية، كان إدوين رايشاور خبير اليابان المسئول عن مخابرات الجيش الأمريكي، ويعتقد البعض خطأً بأنه تمكن من منع الهجوم على مدينة كيوتو.[15] ففي سيرته الذاتية، دحض راشاور هذا الإدعاء المشهور قائلاً:
"...إن هنري ستيمسون، وزير الحرب آنذاك، هو الشخص الوحيد الذي يستحق التقدير لإنقاذ مدينة كيوتو من الدمار، فقد أٌعجب بمدينة كيوتو منذ عقود قليلة حيث قضى شهر العسل هناك." [16]
إنذار بوتسدام
في السادس والعشرين من شهر يوليو، أصدر ترومان وغيره من زعماء التحالف إعلان بوتسدام الذي يحدد شروط استسلام اليابان. وقد تم تقديمه بمثابة بلاغ نهائي. فإذا لم تستسلم اليابان، سيهاجم الحلفاء البلاد وسيؤدي ذلك إلى "التدمير الحتمي والكامل للقوات المسلحة اليابانية والوطن بأكمله". ولم يذكر البيان أي شيء عن القنبلة الذرية. وفي الثامن والعشرين من شهر يوليو، أعلنت الصحف اليابانية أن الحكومة قد رفضت إعلان بوتسدام. وفي ظهر ذلك اليوم، أعلن رئيس الوزراء كانتارو سوزوكي في مؤتمر صحفي أن إعلان بوتسدام عبارة عن إعادة صياغة (yakinaoshi) لإعلان القاهرة، ومن ثم تجاهلته الحكومة عمداً (mokusatsu "قتله بالصمت").[17]
واعتبرت الصحف اليابانية والأجنبية هذا التصريح بمثابة رفض واضح للإعلان.
ولم يسعى الإمبراطور هيروهيتو لتغيير موقف الحكومة. وكان ينتظر الرد السوفياتي على النوايا اليابانية المبهمة نحو السلام.[18] وفي الحادي والثلاثين من شهر يوليو، صرح الإمبراطور لمستشاره كويتشي كيدو أنه يجب الدفاع عن الرموز الإمبراطورية اليابانية بأي ثمن.[19]
وفي مطلع شهر يوليو، أعاد ترومان النظر في استخدام القنبلة النووية أثناء ذهابه إلى مدينة بوتسدام. وفي النهاية، قرر ترومان مهاجمة اليابان باستخدام القنابل النووية. أعلن ترومان عن نيته في إصدار أوامره بشن الهجوم بحجة إنهاء هذه الحرب سريعاً عن طريق إلحاق الدمار وزرع الخوف داخل الشعب الياباني، ومن ثم إرغام البلاد على الاستسلام.[20]
هيروشيما
هيروشيما خلال الحرب العالمية الثانية
كانت مدينة هيروشيما تتمتع ببعض الأهمية الصناعية والعسكرية في الوقت الذي تم تدميرها فيه. فكان هناك عدد من معسكرات الجيش، بما في ذلك مقر الشعبة الخامسة والمقر العام الثاني للجيش الخاص بالمشير شونروكو هاتا المسئول عن الدفاع عن جميع الأجزاء الجنوبية في اليابان. كما كانت هيروشيما مُزَوِّد ثانوي وقاعدة لوجستية للجيش الياباني. وكانت المدينة مركزاً للاتصالات، ونقطة تخزين، ومنطقة تجميع للقوات. وكانت المدينة واحدة من المدن اليابانية العديدة التي كانت بمنأى عن القصف الأميركي، مما جعل أهلها يستشعرون الضرر الناجم عن القنبلة الذرية بحرقة شديدة.
يقع في وسط المدينة عدة بنايات خرسانية قوية وهياكل أخف وزناً. وخارج المركز، تزدحم المنطقة بمجموعة من ورش العمل الخشبية الصغيرة التي تقع بين البيوت اليابانية. كما نجد بعض النباتات الصناعية التي تقع بالقرب من ضواحي المدينة. بُنِيَت البيوت من الخشب وكُسِيَت الأسقف بالآجر، وتم بناء كثير من المباني الصناعية على إطارات خشبية. وبالتالي، فإن المدينة بأكملها سريعة التأثر بالنيران.
وصل عدد سكان هيروشيما إلى ذروته لأكثر من 381،000 نسمة في أوائل الحرب، ولكنه انخفض باطراد قبل القصف الذري بسبب الإخلاء المنهجي الذي قامت به الحكومة اليابانية. تراوح عدد السكان في وقت الهجوم بين حوالي 340،000-350،000.[4] ويظل عدد السكان آنذاك غير مؤكداً بسبب إحراق الوثائق الرسمية.
القصف
لمعرفة تشكيل بعثة سلاح القوات الجوية الأمريكية، أنظر المجموعة رقم 509.
كانت هيروشيما الهدف الأساسي للتفجير النووي في السادس من شهر أغسطس، بينما كانت كوكورا أو ناغازاكي الهدف الآخر. ولقد تم اختيار السادس من شهر لأن الغيوم قد سبق وأن حجبت الهدف. انطلق سرب الطائرات 393d B29 إينولا جاي من القاعدة الجوية الشمالية بجزيرة تينيان، غرب المحيط الأطلسي. وكان يقوده قائد المجموعة رقم 509 الكولونيل بول تيبتس. ورافق إينولا جاي (التي سميت باسم أم الكولونيل تيبتس) اثنين من الB29. قامت القاذفة الأولى وتسمى الفنان الكبير، بقيادة الرائد تشارلز دبليو سويني، بنقل المعدات؛ بالإضافة إلى طائرة أخرى سميت بعد ذلك بالشر الضروري (طائرة التصوير الضوئي)، والتي كان يقودها الكابتن جورج ماركوارت.[21]
وبعد مغادرة جزيرة تينيان، اتخذت كل طائرة طريقها على حدى إلى لايو جيما، حيث تقابلا على ارتفاع 2440 متر (8000 قدم) وانطلقا إلى اليابان. وصلت الطائرة إلى الهدف، وكانت الرؤية واضحة على ارتفاع 9855 متر (32330 قدم). وأثناء الرحلة، قام الكابتن وليام بارسونز بتسليح القنبلة، حيث لم يكن تم تسليحها بعد لتقليل المخاطر أثناء الإقلاع. وأزال مساعد الكابتن، الملازم الثاني موريس جيبسون، أجهزة السلامة قبل الوصول إلى الهدف بثلاثين دقيقة.[22]
وقبل الانفجار بحوالي ساعة، اكتشف رادار الإنذار الياباني اقتراب بعض الطائرات الأمريكية من الجزء الجنوبي الياباني. وتم تنبيه البلاد، وتوقف البث الإذاعي في مدن كثيرة، من بينها مدينة هيروشيما. وقرابة الساعة الثامنة صباحاً، حدد الرادار في مدينة هيروشيما اليابانية عدد الطائرات القادمة بأنه لا يتعدى الثلاث طائرات، ومن ثم تم رفع حالة التأهب. وللحفاظ على الوقود والطائرات، قرر اليابانيون عدم اعتراض مثل هذه التجمعات الصغيرة. حذَّرت الإذاعة الناس أنه قد يكون من المستحسن الذهاب إلى ملاجئ تحميهم من الغارات الجوية إذا ما شاهدوا الطائرات B 29 تقترب، ولم يتوقعوا حدوث أي غارات حيث اعتقدوا أن الطائرات في رحلة استطلاعية فقط.
انطلقت القنبلة الساعة الثامنة والربع (بتوقيت هيروشيما) كما كان مخطط، وهي قنبلة تعمل بقوة الجاذبية تسمى "ليتل بوي"، كما أنها قنبلة ذات انشطار مصوب. وتحمل 60 كيلوجراماً (130 باوند) من اليورانيوم 235. واستغرقت القنبلة 57 ثانية لتسقط من الطائرة وتصل إلى الارتفاع الذي ستنفجر فيه، وهو حوالي 600 متر (2000 قدم) فوق المدينة. حولت القنبلة مسارها بحوالي 800 قدم (240 متر) بسبب الرياح المتعامدة، لتسقط على عيادة شيما للجراحة بدلاً من الهدف المخطط له، وهو جسر أيوي. ونتج عن ذلك انفجار يعادل حوالي 13 كيلوطن من الTNT أو (54 JT). (ويعتبر سلاح اليو 235 غير فعال، حيث يتشطر 1.38 ٪ فقط من المواد المكونة له.) [23] وبلغ نصف قطر دائرة الدمار نحو ميل واحد (1.6 كم)، بالإضافة إلى الحرائق التي انتشرت في أنحاء مختلفة على مساحة 4.4 ميل مكعب تقريباً (11 كيلومتر مكعب).[24] وتشير التقديرات الأمريكية إلى تدمير 4.7 ميل مكعب (12 كيلومتر مكعب) من مساحة المدينة. بينما حدد المسؤولون اليابانيون خسارة المباني في هيروشيما بـ69 ٪، بالإضافة إلى إلحاق الضرر بـ6-7 ٪ من مباني أخرى.[25]
لَقِىَ 70،000-80،000 شخص، أي حوالي 30 ٪ [26] من سكان هيروشيما، حَتْفَهٌم على الفور، وجُرِحَ 70،000 آخرون.[27] كما مات أكثر من 90 ٪ من الأطباء و93 ٪ من الممرضين في هيروشيما أو اصيبوا بجروح، حيث كان معظمهم في منطقة وسط المدينة التي تأثرت بالانفجار أكثر من أي منطقة أخرى.[28]
على الرغم من أن الولايات المتحدة قد سبق وألقت منشورات تُحذر فيها المدنيين من الغارات الجوية على اثنتى عشر مدينة يابانية أخرى، [29] لم يتم تحذير سكان هيروشيما من إسقاط القنبلة الذرية.[30][31][32]
إدراك اليابانيين بحدوث الانفجار
لاحظ مشغل التحكم بطوكيو، التابع لهيئة الإذاعة اليابانية، اختفاء محطة هيروشيما. ومن ثم حاول إعادة بناء برنامجه باستخدام خط هاتفي آخر، ولكن باءت محاولته بالفشل.[33] وبعد حوالي عشرين دقيقة، أَيقن مركز تلغراف السكك الحديدية بطوكيو تَوَقُف الخط الرئيسي للتلغراف عن العمل شمال مدينة هيروشيما. وبعد توقف بعض السكك الحديدية على بعد 16 كم (10 ميل) من المدينة، جاءت تقارير غير رسمية تتحدث عن حدوث انفجار رهيب في مدينة هيروشيما. وتم نقل كل هذه التقارير إلى مقر قيادة هيئة الأركان العامة للجيش الياباني الإمبراطوري.
وحاولت القواعد العسكرية مراراً الاتصال بمحطة مراقبة الجيش بمدينة هيروشيما. وأدهش ذلك الصمت التام للمدينة الرجال في المقر؛ فهم يعلمون أنه لا يوجد أي غارات من قبل العدو، ولا يوجد أي مخزون من المتفجرات في مدينة هيروشيما آنذاك. وصدرت الأوامر إلى ضابط شاب من هيئة الأركان العامة اليابانية كي يغادر فوراً إلى هيروشيما، ليهبط بالطائرة على الأرض، ويمسح المنطقة، ثم يعود إلى طوكيو ومعه معلومات موثوق بها للهيئة. فكان هناك شعور عام في المقر بأنه لم يحدث شيئاً خطيراً، وأن الانفجار لا يعد سوى شائعة سخيفة.
تَوَجًّه الضابط إلى المطار، وأَقلعت الطائرة مُتجِهة إلى جنوب غرب البلاد. وبعد الطيران لمدة ثلاث ساعات تقريباً، وقبل الوصول إلى هيروشيما بحوالي مائة ميل (160 كم)، رأي الضابط والطيار سحابة كبيرة من الدخان نتيجة سقوط القنبلة. وفي فترة ما بعد الظهر، كان ما تبقى من هيروشيما مشتعلاً. وسرعان ما وصلت طائرتهم إلي المدينة، وأخذوا يطوفون فوقها في حالة من عدم التصديق. وكان هناك قطعة كبيرة من الأرض لا تزال مشتعلة، تغطيها سحابة كبيرة من الدخان. وكان ذلك كل ما تبقى من المدينة المنكوبة. هبطت الطائرة جنوب المدينة، وقام الضابط على الفور بتنظيم وسائل الإغاثة، بعد أن أبلغ طوكيو بما شاهد.
وبحلول اليوم الثامن من شهر أغسطس عام 1945، ذكرت الصحف الأمريكية أن هناك تقارير من الإذاعة اليابانية تقوم بوصف الدمار الذي لحق بمدينة هيروشيما. "من الناحية العملية جميع الكائنات الحية، الإنسان والحيوان، وكانت حرفيا أخدودا حتى الموت ،" مذيعات الاذاعة اليابانية قال في رسالة بثها تلقتها مصادر الحلفاء.[34]
ما بعد الهجوم
وفقاً لمعظم التقديرات، أدى الانفجار إلى مقتل ما يقرب من 70،000 شخص في الحال بمدينة هيروشيما. وتشير التقديرات إلى أن مجموع الوفيات بحلول نهاية عام 1945 نتيجة الحروق، والإشعاعات، والأمراض ذات صلة، والآثار التي تفاقمت بسبب نقص الموارد الطبية، يتراوح بين 90،000 إلى 140،000 شخص.[4][35]
وتشير بعض التقديرات الأخرى إلى وفاة 200،000 شخص بحلول عام 1950، بسبب السرطان وغيره من الآثار طويلة المدى.[1][7][36] بينما ذكرت دراسة أخرى أن ما يقرب من 9 ٪ من الوفيات بسبب سرطان الدم بين الناجين من القنبلة بين عام 1950 وعام 1990، نتج من الإشعاع الصادر من هذه القنابل. وتُقدر الإحصاءات وجود 89 حالة لوكيميا و339 حالة سرطانات صلبة في ذلك الوقت.[37] كما مات على الأقل أحد عشر من أسرى الحرب المعروفين جراء القصف.[38]
نجاة بعض الهياكل
لم تتأثر بعض المباني الخرسانية الصلبة في هيروشيما كثيراً، حيث أنها شُيدت بطريقة قوية جدا لتحمل مخاطر الزلازل في اليابان، وبالتالي لم يتعرض هيكلها للانهيار، على الرغم من أنها كانت قريبة إلى حدٍ ما من مركز الانفجار. ويعتبر إيزاو نامورا (野村 英三, Nomura Eizō) أقرب الناجين شهرةً، والذي كان في سرداب أحد المباني الصلبه (سميت ب"بيوت الراحة" بعد الحرب) على بعد 170 متر فقط (560 قدم) من مركز الانفجار وقت الهجوم[39].
بالإضافة إلى اكيكو تاكاكورا (高蔵 信子, Takakura Akiko) التي كانت من بين الناجين الذين تواجدوا بالقرب من مركز الانفجار. حيث كانت داخل بنك هيروشيما على بعد 300 متر (980 قدم) فقط من مركز الانفجار وقت الهجوم.[40] وبما أن الانفجار قد حدث في الهواء، تم توجيه الانفجار نحو الأسفل أكثر منه على الجانبين، مما أدى إلى نجاة قبة غنباكو، أو قبة القنبلة النووية. صمم هذا المبنى وصنع من قبل المهندس المعماري التشيكي جان ليتسل، وكان يبعد عن مركز القنبلة بـ150 متر (490 قدم) فقط. وسميت هذه الأنقاض باسم نصب السلام التذكاري بهيروشيما، وأصبح موقعاً للتراث العالمي تابعاً لمنظمة اليونسكو في عام 1996، على الرغم من اعتراضات الولايات المتحدة والصين.[41]
أحداث 7-9 أغسطس
بعد قصف هيروشيما، أعلن الرئيس ترومان قائلاً: إذا لم يقبلوا بشروطنا، يجب أن يتوقعوا أمطاراً من الخراب تأتيهم من الهواء، لم يراها أحدٌ من قبل على هذه الأرض.
لم ترد الحكومة اليابانية على إعلان بوتسدام بعد. كان كل من الإمبراطور هيروهيتو، والحكومة، ومجلس الحرب يبحث أربعة شروط للاستسلام: الحفاظ على الـكوكوتاي (وهو المؤسسة الإمبراطورية ونظام الحكم الوطني)، وتَوَلِّي المقر الإمبراطوري مسؤولية نزع السلاح والتسريح، ولا يجب احتلال أيٍ من الجزر اليابانية، أو كوريا، أو تايوان، ويجب معاقبة مجرمي الحرب بواسطة الحكومة اليابانية.[42]
أبلغ مولوتوف، وزير الخارجية السوفياتي، طوكيو بإنهاء الاتحاد السوفياتي للحلف الحيادي السوفيتي الياباني في الخامس من شهر إبريل. وبعد منتصف الليل بدقيقتين في التاسع من شهر أغسطس بتوقيت طوكيو، شنَّ الاتحاد السوفياتي عملية الهجوم الاستراتيجي على منشوريا باستخدام المشاة والمُدرَّعات والقوات الجوِّية. وبعد مرور أربع ساعات، علمت طوكيو بأن الإتحاد السوفيتي قد أعلن الحرب على اليابان. بدأت القيادة العليا للجيش الياباني استعداداتها لفرض الأحكام العرفية على البلاد، وذلك بدعم من وزير الحرب كوريتشيكا أنامى، من أجل وقف أي محاولة نحو السلام.
كانت مسؤولية تحديد توقيت التفجير الثاني تقع على عاتق الكولونيل تيبتس، باعتباره قائد الفرقة رقم 509 في تينيان. كان من المقرر شن الهجوم على مدينة كوكورا في الحادي عشر من شهر أغسطس، ولكن تم تقرير الهجمة قبل ذلك بيومين لتجنب فترة من الطقس السيء ستبدأ في العاشر من شهر أغسطس وتستمر لمدة خمسة أيام.[43] تم نقل ثلاث قنابل مُجَمَّعة إلى تينيان، وسميت القنابل F-31، وF-32، وF-33. وفي الثامن من شهر أغسطس، أجري الرائد تشارلز سويني بروفة في تينان مستخدماً طائرة الBockscar. استمر اختبار الF-33 وخصصت الF-31 لمهمة التاسع من شهر أغسطس.[44]
ناغازاكي
ناغازاكي خلال الحرب العالمية الثانية
كانت مدينة ناغازاكي واحدة من أكبر الموانيء البحرية التي تقع جنوب اليابان. وكان لها أهمية استراتيجية كبيرة بسبب نشاطها الصناعي، حيث كانت تُنتج الذخائر، والسفن، والمًعدَّات العسكرية، والمواد الحربية الأخرى.
وعلى عكس العديد من الجوانب الحديثة في مدينة هيروشيما، كانت جميع المباني في ناغازاكي مبنيِّة على الطراز الياباني القديم، حيث تتألف من الأخشاب (مع أو بدون لاصق) والأسقف المكسوة بالآجر. كما كان العديد من المنشآت التجارية والصناعية مصنوعة من الخشب أو غيره من المواد التي لا تتحمل الانفجارات. تمكنت ناغازاكي من النمو لسنوات عديدة دون أن تخضع إلى أي خطة تقسيم; وشُيدت المساكن بِجوار المباني الصناعية. وتقع قريبة من بعضها البعض قدر المستطاع في جميع أنحاء الوادي الصناعي.
لم تتعرض ناغازاكي لقصف عنيف قبل ضربها بالأسلحة النووية. في الأول من شهر أغسطس عام 1945، سقط عدد من القنابل التقليدية شديدة الانفجار على المدينة. ضرب عدد قليل من القنابل أحواض بناء السفن ومناطق تحميل وتفريغ السفن في الجزء الجنوبي الغربي من المدينة، بينما أصابت عدة قنابل مصانع ميتسوبيشي للصلب والأسلحة. كما أنهالت ست قنابل على كلية الطب بناغازاكي والمستشفى، وتعرضت المباني لثلاث ضربات مباشرة. على الرغم من أن الضرر الناجم عن هذه القنابل كان ضئيلاً نسبياً، فقد خلق ذلك قلقاً كبيراً في ناغازاكي بين كثير من الناس، وخاصة على مدارس الأطفال. وبالتالي، تم نقل الأطفال إلى المناطق الريفية من أجل سلامتهم، ومن ثم خفض عدد السكان في المدينة في وقت الهجوم النووي.
يقع في شمال ناغازاكي معسكر يحتجز أسرى حرب الكومنولث البريطاني، وكان بعضهم يعمل في مناجم الفحم، ولم يعرفوا شيئاً عن الانفجارات إلا عندما عادوا إلى السطح.
القصف
لمعرفة المزيد عن لتشكيل بعثة سلاح الطيران الأمريكي، أنظر الفرقة رقم 509.
وفي صباح اليوم التاسع من شهر أغسطس عام 1945، أقلعت القاذفة الأمريكية B-29 Bockscar بقيادة الميجور تشارلز دبليو سويني، وهي تحمل القنبلة النووية التي اطلق عليها اسم "الرجل البدين"، متجهة إلى [[كوكورا{/0 باعتبارها الهدف الرئيسي، ثم إلى {0}ناغازاكي]] باعتبارها الهدف الثانوي. كانت خطة القيام بالهجوم الثاني مطابقة تقريباً لهجوم هيروشيما. تكوَّن السرب من طائرتين B-29 انطلقوا قبل الهجوم بساعة لاسكشاف الطقس، واثنتين إضافيتان بقيادة سويني لحمل آلات التصوير وتقديم الدعم للبعثة. طار سويني بالقنبلة التي تم تسليحها، ولكنه لم يزيل مقباس السلامة.[45]
أَقَرَّ المراقبون الجوِّيُون بأن كلا الهدفين واضحين. وعندما وصل سويني إلى نقطة التجمع قبالة ساحل اليابان، فشلت الطائرة الثالثة Big Stink في اللحاق بهم. وكان يقودها رئيس العمليات اللفتنانت كولونيل جيمس هوبكنز الابن. وظلت الطائرة Bockscar وطائرة الأجهزة تحلقان لمدة أربعين دقيقة من دون تحديد مكان هوبكنز. وبما أنهم تأخروا لمدة 30 دقيقة عن الموعد المقرر، قرر سويني الطيران بدون هوبكنز.[45]
وعندما وصلوا إلى Kokura متأخرىن بنصف ساعة، كان هناك سح 70 ٪ من الغطاء السحابي كانت تحجب المدينة، والتي تحظر الهجوم البصرية اللازمة من أوامر. وبعد القيام بثلاث جولات فوق سماء المدينة، بدأ الوقود ينفذ بسبب فشل نقل الطائرة على الخزان الاحتياطي قبل الإقلاع. ومن ثم اتخذت الطائرات طريقها إلى الهدف الثانوي، ناغازاكي.[45] أشارت حسابات استهلاك الوقود إلى أن الطائرة Bockscar ليس لديها وقود يكفي للوصول إلى ايو جيما، وسوف تضطر إلى تحويل إلى اوكيناوا. قررت المجموعة مبدئياً حَمْل القنبلة إلى أوكيناوا والتخلص منها في المحيط إذا لزم الأمر، إذا كان هناك سحب تحجب رؤية ناغازاكي عند الوصول إليها. ثم قرر القائد البحري فريدريك آشوورث استخدام الرادار إذا كان الهدف غير واضح.[46]
وفي حوالي الساعة 07:50 بتوقيت اليابان، كان هناك حالة تأهب للغارة الجوية على ناغازاكي، ولكن تم إعطاء الإشارة الواضحة في الساعة 08:30. وعندما اِكْتُشِفَت القاذفتين B-29 في الساعة 10:53، اِعْتَقَدَ اليابانيون بأن الطائرتين يَقُمْنَ برحلة استطلاعية، ومن ثم توقف نداء الخطر.
وبعد مرور بضع دقائق، وفي تمام الساعة 11:00، أسقطت الطائرة The Great Artiste من طراز B-29 بقيادة الكابتن فريدريك بوك، صكوك معلقة على ثلاث مظلات. تحتوي هذه الصكوك على رسالة غير موقعة للبروفيسور ريوكيتشي ساجاني، عالم الفيزياء النووية بجامعة طوكيو الذي درس مع ثلاثة من العلماء المسؤولين عن القنبلة الذرية في جامعة كاليفورنيا في بيركلي. تَحُث تلك الرسالة البروفيسور أن يُعَرِّف الشعب بالمخاطر الكامنة في استخدام أسلحة الدمار الشامل هذه. عثرت السلطات العسكرية على تلك الرسائل، ولم يتم تسليمها إلى ساجاني إلى بعد مرور شهر.[47] وفي عام 1949، تقابل أحد كتَّاب هذه الرسالة، لويس الفاريز، مع ساجاني، ووَقَّع على الرسالة.[48]
وفي الساعة 11:01، تمكن الكابتن كيرميت بيهان من رؤية الهدف في آخر دقيقة من انكسار السحب فوق ناغازاكي.سقط "الرجل البدين"، الذي يحتوي على 6.4 كيلوغرام (14.1 باوند) من البلوتونيوم 239، على الوادي الصناعي بالمدينة. وبعد مرور ثلاثة وأربعين ثانية، انفجرت القنبلة على ارتفاع 469 متر (1،540 قدم) فوق سطح الأرض، تحديداً في منتصف المسافة بين شركة ميتسوبيشي للصلب والأسلحة في الجنوب ومصنع ميتسوبيشي Urakami للذخائر (التوربيدو) في الشمال. وكان ذلك على بعد 3 كيلومتر (2 ميل) تقريباً شمال غرب المركز المخطط؛ اقتصر الانفجار على وادي أوراكامي، بينما حمت التلال جزء كبير من المدينة.[49] ووصلت قوة الانفجار إلى ما يعادل 21 كيلوطن من الTNT وهو ما يعادل (88 TJ). وقُدِّرَت الطاقة الحرارية التي ولَّدَها الانفجار بـ3،900 درجة مئوية (4،200 كلفن، 7،000 درجة فهرنهايت)، بينما بلغت قوة الرياح إلى 1005 كم/ساعة (624 ميل في الساعة).
تراوح عدد الوفيات المباشرة بين 40،000 و75،000 شخص.[50][51][52] ووصل إجمالي عدد الوفيات بنهاية عام 1945 80،000 شخص.[4] مات ما لا يقل عن ثمانية من أسرى الحرب من جراء القصف، بالإضافة إلى مصرع ثلاثة عشر أسير آخرون:
مواطن تابع للكومنولث البريطاني [53][54][55][56][57]
لقي سبعة أسرى هولنديون (اثنين من الأسماء المعروفة) [58] حتفهم في القصف.
سُجِّل موت ما لا يقل عن اثنين من الأسرى بعد الحرب بسبب السرطان، ويُعْتَقَد أن يكون ذلك نتيجة القنبلة الذرية.[59] بلغ نصف قطر دائرة الدمار حوالي ميل (1-2 كم)، يليها حرائق منتشرة في الجزء الشمالي من المدينة على بعد ميلين (3 كم) من جنوب القنبلة.[60][61]
هرب عدد مجهول من الناجين من قصف هيروشيما إلى ناغازاكي، حيث تعرضوا للقصف مرة أخرى.[62][63]
وتم تدمير مصنع ميتسوبيشي - أوراكامي للذخائر أثناء القصف. وكان ذلك المصنع ينتج الطوربيدات 91 التي هاجمت ميناء بيرل.[64]
خطط لمزيد من الهجمات النووية على اليابان
توقعت الولايات المتحدة استخدام قنبلة نووية أخرى في الأسبوع الثالث من شهر أغسطس، بالإضافة إلى ثلاثة آخرين في شهر سبتمبر، وثلاثة قنابل إضافية في شهر أكتوبر.[65]
وفي العاشر من شهر أغسطس، أرسل الجنرال ليسلي غروفز، المدير العسكري لمشروع مانهاتن، مذكرة إلى الفريق أول جورج مارشيل، رئيس أركان الجيش، حيث كتب فيها: "ينبغي أن تكون القنبلة القادمة جاهزة للتسليم في أول فرصة يكون فيها الطقس مناسباً، بعد السابع عشر أو الثامن عشر من شهر أغسطس." وفي نفس اليوم، وَقَّع مارشال على المُذكِّرة مُعَلِّقًا: "لن يتم إطلاقها على اليابان إلا بإذن صريح من الرئيس." [65] وكان هناك بالفعل مناقشات في وزارة الحرب حول حفظ القنابل قيد الإنتاج حتى بداية الغزو المتوقع لليابان. "على فرض بأن اليابان لن تستسلم، فإن المشكلة الآن [أغسطس 13] تكمن في إما مواصلة إسقاط القنابل واحدة واحدة، أو إطلاقهم جميعاٌ في وقت قصير. لن نطلقهم جميعاً في يوم واحد، ولكن خلال فترة قصيرة. ويجب أيضاً أخذ الهدف الذي نسعى إليه في الاعتبار. ألا ينبغي علينا التركيز على الأهداف التي ستساعدنا على الغزو بقدر كبير، بدلاً من الصناعة، ورفع المعنويات، وعلم النفس، وما شابه؟ فاستخدام التكتيك خيرٌ من أي وسيلة أخرى.[65]
استسلام اليابان واحتلالها
كان مجلس الحرب لا يزال مُصِرّاً على شروطه الأربعة للاستسلام حتى التاسع من شهر أغسطس. وفي ذلك اليوم، أمر هيروهيتو كيدو "بالسيطرة على الموقف بسرعة... لأن الاتحاد السوفيتي قد أعلن الحرب علينا". ثم عقد مؤتمر إمبراطوري، وكلَّف الوزير "توجو" بإخطار الحلفاء بأن اليابان ستقبل شروطهم بشرط واحد: لا يشمل الإعلان أي طلب تحيزي لصلاحيات جلالة الإمبراطور كحاكم سيادي." [66]
وفي الثاني عشر من شهر أغسطس، أبلغ الإمبراطور العائلة الإمبراطورية بقراره بالاستسلام. وسئله أحد أعمامه، الأمير أساكا، عما إذا كانت الحرب ستستمر في حالة عدم القدرة على الحفاظ على kokutai. وأجاب هيروهيتو ببساطة: "بالطبع." [67] وبما أن شروط الحلفاء لن تمس مبدأ الحفاظ على العرش، هيروهيتو سجلت في 14 آب إعلانه الاستسلام الذي تم بثه على الامة اليابانية في اليوم التالي رغم تمرد قصيرة على يد العسكريين المعارضين للاستسلام.
وأشار هيروهيتو في تصريحاته إلى القصف النووي:
أما في "رسالته إلى الجنود والبحارة" التي سَلَّمَهَا في السابع عشر من شهر أغسطس، شَدَّدَ الإمبراطور على أثر الغزو السوفياتي وعلى قراره بالاستسلام، ولم يَذكُر أي شيء عن القنابل.
وفي السنة التالية للانفجارات، احتل نحو 40،000 من القوات الأمريكية هيروشيما، بينما احتل 27،000 جندي مدينة ناغازاكي.
لجنة ضحايا القنبلة النووية
في ربيع عام 1948، تأسست لجنة ضحايا القنبلة النووية (ABCC) وفقاً لتوجيهات رئاسية من هاري ترومان إلى الأكاديمية الوطنية للعلوم والمجلس الوطني للبحوث، لإجراء تحقيقات حول آثار الإشعاعات على الناجين من قصف هيروشيما وناغازاكي.
تم العثور على العديد من الضحايا غير المقصودة، بما في ذلك أسرى الحروب التابعيين للحلفاء، وكوريا، والعمال الصينيين، وطلاب من ملايو، وحوالي 3200 مواطن أمريكي من أصل ياباني.[68]
كانت إحدى الدراسات الأولى التي أجرتها لجنة الABCC عن نتائج حالات الحمل التي حدثت في هيروشيما وناغازاكي وفي مدينة كورى، التي تقع على بعد 18 ميل (29 كيلومتر) جنوب هيروشيما، وذلك لتحديد الظروف والنتائج ذات الصلة بالتعرض للإشعاعات. وزعم البعض بأن لجنة الABCC لا يمكنها تقديم العلاج الطبي للناجين إلا في القدرات البحثية فقط. كما زعم أحد الكتاب بأن لجنة الABCC r] رفضj تقديم العلاج الطبي للناجين من أجل تحسين نتائج البحث.[69][70] وفي عام 1975، تم إنشاء مؤسسة بحوث الآثار الإشعاعية لتحديد مسؤوليات لجنة الABCC.[70]
هيباكوشا
سمي الضحايا الناجين من التفجيرات هيباكوشا (被爆者)، وهي كلمة يابانية تترجم حرفياً إلى "السكان المتضررين من الانفجار". ونتيجة المعاناة التي سببها القصف، تسعى اليابان للقضاء على استخدام الأسلحة النووية في العالم منذ ذلك الحين، وإصدار واحدة من أقوى السياسات غير النووية.
وبحلول اليوم الحادي والثلاثين من شهر مارس لعام 2009، تم اعترفت الحكومة اليابانية بـ235.569 هيباكوشا، ويعيش معظمهم في اليابان.[71] كما اعترفت الحكومة اليابانية بأن حوالي 1 ٪ منهم يعانون من أمراض ناجمة عن الإشعاعات.[72]
احتوت النصب التذكارية الموجودة في هيروشيما وناغازاكي على قوائم بأسماء الهيباكوشا الذين لقوا حتفهم منذ وقوع التفجيرات. ويتم تحديثها سنوياً في ذكرى التفجيرات، وسجلت النصب التذكارية في شهر أغسطس عام 2009 أسماء أكثر من 410،000 هيباكوشا - 263،945 في هيروشيما، و149,226 في ناغازاكي.[73]
الناجين الكوريين
وخلال الحرب، جلبت اليابان الكثير من المجندين الكوريين إلى هيروشيما وناغازاكي للعمل هناك. ووفقاً للتقديرات الأخيرة، قُتل حوالي 20،000 من الكوريين في هيروشيما، ومات حوالي 2،000 في ناغازاكي. كما أشارت التقديرات إلى أن واحداً من بين سبعة ضحايا في هيروشيما كانوا من أصل كوري.[8] ولسنوات عديدة، قضى الكوريون وقتاً يقاتلون من أجل الاعتراف بهم كضحايا للقنبلة النووية، وحُرِموا من الفوائد الصحية. ومع ذلك، تم حل النزاع في معظم القضايا من خلال الدعاوى القضائية في السنوات الأخيرة.[74]
الضحية الثنائية
وفي الرابع والعشرين من شهر مارس لعام 2009، اعترفت الحكومة اليابانية بأن تسوتومو ياماغوتشي يعد هيباكوشا مزدوج. ثبت أن تسوتومو ياماغوتشي كان على بعد 3 كيلومترات من نقطة الانفجار في مدينة هيروشيما أثناء رحلة عمل. وقد أصيب بحروق خطيرة على جانبه الايسر، وأمضى الليل في مدينة هيروشيما. ثم عاد إلى منزله في مدينة ناغازاكي في الثامن من شهر أغسطس، أي قبل انفجار القنبلة في ناغازاكي بيومٍ واحد، وقد تعرض للإشعاعات أثناء بحثه عن بقايا أقاربه. وهو أول ناجي مؤكد من التفجيرين.[75]
الجدل حول التفجيرات
إن دور التفجيرات في استسلام اليابان والتبريرات الأخلاقية الأمريكية لاستخدام هذه الأسلحة كان موضوع المناظرات العلمية والشعبية على مدى عقود عديدة. كتب صموئيل ووكر في شهر إبريل عام 2005 عن التأريخ الأخير بشأن هذه المسألة: "يبدو أن الجدل حول استخدام القنبلة سيستمر". وأضاف والكر قائلاً: "إن المسألة الأساسية تكمن في إذا كان استخدام القنبلة ضرورياً لتحقيق النصر في الحرب في منطقة المحيط الهادئ بشروط مرضية للولايات المتحدة. وقد انقسم العلماء في هذا الصدد على مر أربعة عقود." [76]
أكَّد مؤيدو استخدام تلك القنابل أنها تسببت في استسلام اليابان، ومنعت وقوع خسائر على الجانبين خلال الغزو المخطط لليابان: كان من المقرر غزو كيوشو في شهر أكتوبر عام 1945، وغزو هونشو بعد خمسة أشهر. أشارت بعض التقديرات إلى أن خسائر قوات التحالف قد تصل إلى مليون أثناء هذا السيناريو، في حين قد تبلغ الخسائر اليابانية الملايين.[77] بينما قال المعارضون أن ذلك كان ببساطة امتداداً لحملة التفجيرات التقليدية الشرسة، وبالتالي لم يكن هناك سبب عسكري لاستخدام تلك القنابل.[78] وهي تعتبر بطبيعتها جريمة غير أخلاقية، وجريمة حرب، وشكلاً من أشكال الإرهاب الدولي.[79]
انظر أيضاً
نصب السلام للأطفال
تسوتومو ياماغوتشي، "الناجي المزدوج" من الهجمتين.
المراجع
قراءات أخرى
هناك مجموعة كبيرة من الأعمال الأدبية حول التفجيرات، وقرار استخدام هذه القنابل، واستسلام اليابان. تمنح المصادر التالية عَيِّنَات من الأعمال البارزة في هذا الموضوع.
تاريخ التفجيرات، وإتخاذ القرار لاستخدامهما.
الروابط الخارجية
، موقع على الإنترنت في عام 2005 يحتفل بالذكرى الستين.
-- فيديو بواسطة الديمقراطية الآن!
، مجموعة من المصادر الأولية بواسطة أرشيف الأمن القومي
Above and Beyond: فيلم من إنتاج شركة ميترو غولدوين ماير عام 1952، وهو فيلم روائي طويل يحكى قصة الحب وراء سر المليار الدولار، بين بول ولوسي تيبتس
إينولا جاي: الرجال، والبعثة، والقنبلة الذرية، وهو فيلم من إنتاج عام 1980 قُدِّم للتلفزيون
: نشرته هيئة الإذاعة البريطانية
تصنيف:القصف الذري على هيروشيما وناجازاكي
تصنيف:1945 في البيئة
تصنيف:1945 في اليابان
تصنيف:أحداث أغسطس 1945
تصنيف:أسلحة نووية
تصنيف:التاريخ العسكري في 1945
تصنيف:الحرب العالمية الثانية
تصنيف:الولايات المتحدة في الحرب العالمية الثانية
تصنيف:اليابان في الحرب العالمية الثانية
تصنيف:حرب نووية
تصنيف:قصف
تصنيف:مسرح عمليات المحيط الهادئ في الحرب العالمية الثانية
تصنيف:مشروع مانهاتن
تصنيف:معاداة اليابان
تصنيف:هيروشيما
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%A7%D9%84%D9%82%D8%B5%D9%81%20%D8%A7%D9%84%D8%B0%D8%B1%D9%8A%20%D8%B9%D9%84%D9%89%20%D9%87%D9%8A%D8%B1%D9%88%D8%B4%D9%8A%D9%85%D8%A7%20%D9%88%D9%86%D8%A7%D8%AC%D8%A7%D8%B2%D8%A7%D9%83%D9%8A |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
666,
2386,
2946,
3608,
3752
],
"plaintext_end_byte": [
654,
2330,
2945,
3587,
3714,
5125
]
} | من هو مخرج فيلم شغف المسيح ؟ | آلام المسيح (فيلم) | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
الآم المسيح (The Passion of the Christ) فيلم أصدر عام 2004 ساعد في كتابته وإنتاجه الممثل ميل جبسون وأخرج الفيلم بمفرده، الفيلم مقتبس من الأحداث التي حدثت للمسيح من اعتقال ومحاكمة وأخيراً الصلب ومن ثم قيامة المسيح، الفيلم ينطق باللغات الآرامية واللاتينية والعبرية ويعتبر فيلم الآم المسيح أكثر الأفلام نجاحاً في تاريخ إيرادات صندوق التذاكر في الولايات المتحدة الأمريكية.[1]
القصة
في وقت ما بحدود العام 30م، في فلسطين، أحد المقاطعات الرومانية آنذاك، بدأ يسوع الناصري بالتعليم والتبشير علناً بتعاليم دينية غير اليهودية والوثنية. أما الشعب اليهودي، فقد كان ينتظر لقرون عديدة، مجيء المخلص المنتظر المعروف بالمسيَا، الذي كان يتوقع أن يعيد لإسرائيل أمجادها القديمة ويخلص أرض اليهود المقدسة من الشر والهزائم. بالنسبة للكثيرين، كان يسوع هو هذا المسيَا المنتظر. فقد تبع يسوع الذي رافقه تلاميذه الاثني عشر كثير من عامة الناس في الجليل واليهودية، مؤمنين بكونه المسيَا. وعلى النقيض من ذلك، كان ليسوع كثير من الأعداء، فقد بدأ السنهدرين، وهو المجلس اليهودي الحاكم، المؤلف من كهنة اليهود والفريسيين، بالتآمر على يسوع للتخلص منه. تم هذا بمساعدة يهوذا الإسخريوطي، أحد تلاميذ يسوع، الذي ساعد السنهدرين في القبض على يسوع وتسليمه للسلطات الرومانية الحاكمة، متَهمينه بخيانة الدولة الرومانية. ومع أن يسوع أصرَ على أن مملكته هي روحية سماوية وليست أرضية إلاَ أن الحاكم الروماني أمر بأن يؤخذ يسوع خارج القدس ويصلب.[2]
ردود الفعل في المنطقة العربية
أهتمت الأقليات المسيحية في البلدان العربية ولبنان وفي سوريا بالفلم خصوصا أن الحوار كان باللغة الأرامية التي لا تزال بعض الطوائف تتحدث بها أو من ضمن قداديسها. واقعية الفيلم وحرفية الطاقم والديكور كانت أيضا سببا من أسباب النجاح الهائل الذي حققه الفيلم في شباك التذاكر رغم أنه في مصر تم عرضه في خمس صالات فقط.[3]
و لكن انتاب الغضب رجال الدين الإسلامي لتجسيد صورة المسيح الذي يعد بمثابة نبي عند المسلمين فقام كبار هيئة العلماء في اللجنة الدائمة للافتاء في المملكة العربية السعودية ولجنة الفتوى في الازهر الشريف بنشر الفتاوى بعدم مشاهدة وعرض الفيلم في الأراضي العربية والإسلامية لما فيه إهانة للسيد المسيح ولم يتم عرضه الا في لبنان ومصر والأردن وعرض أيضا في سوريا.[4]
انظر أيضاً
يسوع
عيسى بن مريم
صلب المسيح
حياة وآلام السيد المسيح (فيلم)
مراجع
وصلات خارجية
تصنيف:آلام المسيح (فيلم)
تصنيف:أفلام أمريكية
تصنيف:أفلام أيكون برودكشن
تصنيف:أفلام إنتاج 2004
تصنيف:أفلام باللغة الآرامية
تصنيف:أفلام باللغة الإنجليزية
تصنيف:أفلام باللغة العبرية
تصنيف:أفلام باللغة اللاتينية
تصنيف:أفلام تقع أحداثها في الإمبراطورية الرومانية
تصنيف:أفلام تقع أحداثها في القدس
تصنيف:أفلام تقع أحداثها في القرن 1
تصنيف:أفلام توينتيث سينتشيري فوكس
تصنيف:أفلام دراما أمريكية
تصنيف:أفلام دراما إنتاج عقد 2000
تصنيف:أفلام عن الموت
تصنيف:أفلام عن سيرة يسوع
تصنيف:أفلام مصورة في إيطاليا
تصنيف:أفلام مصورة في روما
تصنيف:أفلام مصورة في ماتيرا
تصنيف:أفلام ملحمية أمريكية
تصنيف:أفلام ملحمية دينية
تصنيف:أفلام من إخراج ميل غيبسون
تصنيف:أفلام من إنتاج ميل غيبسون
تصنيف:تصوير ثقافي عن يهوذا الإسخريوطي
تصنيف:تعذيب في أفلام
تصنيف:مواضيع جدلية بسبب الفحش
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%A2%D9%84%D8%A7%D9%85%20%D8%A7%D9%84%D9%85%D8%B3%D9%8A%D8%AD%20%28%D9%81%D9%8A%D9%84%D9%85%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1380,
4046,
5474,
8968,
12228,
14453,
16811,
18298,
19808,
22459,
24546,
25755,
30002,
31398,
32665,
34771,
36207,
37722,
39293,
41010,
42666,
44662,
45987,
47288,
48646,
49539,
50790,
53668,
54530,
55655,
57666,
58028,
59140,
60696,
60894,
62712,
62999,
65593,
65786,
66442,
67476,
69407,
72623,
77278,
78926,
80020,
81109,
81560,
81931,
83372,
83784,
84312,
85136,
86290,
87582,
87958,
88781,
90340,
90872,
91225,
95242,
95385,
95504,
95779
],
"plaintext_end_byte": [
1379,
3985,
5473,
8926,
12227,
14452,
16810,
18297,
19807,
22458,
24476,
25754,
29931,
31397,
32664,
34770,
36206,
37721,
39292,
40990,
42649,
44611,
45985,
47286,
48645,
49538,
50733,
53645,
54529,
55638,
57665,
58027,
59139,
60695,
60893,
62711,
62998,
65592,
65785,
66394,
67441,
69380,
72606,
77084,
78608,
79994,
81092,
81546,
81905,
83337,
83711,
84140,
85135,
86264,
87556,
87801,
88687,
90314,
90837,
91177,
95143,
95359,
95478,
95776,
96766
]
} | আমেরিকান ঔপন্যাসিক হারমান মেলভিলের লেখা প্রথম উপন্যাসের নাম কী ? | ডেভিড হারবার্ট লরেন্স | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
ডেভিড হারবার্ট রিচার্ডস লরেন্স (১১ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫ – ২ মার্চ, ১৯৩০), যিনি ডি. এইচ. লরেন্স নামে সমধিক খ্যাত, ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন ইংরেজ প্রসিদ্ধ লেখক, কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক। তাঁর রচনাবলি আধুনিকায়ন ও শিল্পায়ন প্রসূত মানবিক অবক্ষয়ের দিকটি বিশদভাবে প্রতিফলিত করে। তাঁর রচনায় লরেন্স মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও তার গুরুত্ব, স্বাভাবিকতা, ও মানব জীবনে যৌনপ্রবণতার ভূমিকা প্রভৃতি বিষয়কে উপজীব্য করেছেন। তাঁর অন্যতম বহুল পঠিত উপন্যাস হলো লেডি চ্যাটার্লীয লাভার যা তৎকালে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত ছিল।
লরেন্সের মতামত তাঁর বহু শত্রুর জন্ম দেয়। তাঁকে পড়তে হয় সরকারি হয়রানি ও সেন্সরশিপের মুখে। জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর রচনার ভুল ব্যাখ্যাও হতে থাকে। এই সময় তিনি চলে যান স্বেচ্ছা-নির্বাসনে; যা ছিল তাঁর নিজের ভাষায় "বর্বর তীর্থযাত্রা" ("savage pilgrimage")-এ ।[1] মৃত্যুকালে তাঁর সম্মান নিজের বিপুল প্রতিভার অপব্যবহারকারী কোনও পর্নোগ্রাফারের চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। একটি শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ই এম ফরস্টার এই বহুপ্রচলিত ধারণাটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লরেন্সকে "আমাদের প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিশীল ঔপন্যাসিক" ("The greatest imaginative novelist of our generation") বলে উল্লেখ করেন।[2] পরবর্তীকালে প্রভাবশালী কেমব্রিজ-ভিত্তিক সমালোচক এফ আর লিভিস তাঁর রচনার শৈল্পিক বিশুদ্ধতা ও তাঁর নৈতিক ঐকান্তিকতাকে সমর্থন করেন। তিনি লরেন্সের রচনাকে ইংরেজি উপন্যাসের অনুশাসনিক "মহাঐতিহ্য" ("great tradition")-এর অন্তর্ভুক্ত করেন। আজ লরেন্স সাধারণভাবে এক সত্যদ্রষ্টা দার্শনিক তথা ইংরেজি সাহিত্যে আধুনিকতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরূপে নন্দিত। যদিও কোনো কোনো নারীবাদী লেখক-লেখিকা তাঁর রচনায় নারীজাতির উপস্থাপনা ও যৌনতার ব্যবহারের প্রতি আপত্তি জানিয়ে থাকেন।
জীবনী
প্রারম্ভিক জীবন
লরেন্স ছিলেন আর্থার জন লরেন্স নামে এক প্রায়-অশিক্ষিত খনি মজুর ও লিডিয়া (নি বিয়ার্ডস্যাল) নামে এক প্রাক্তন স্কুলশিক্ষিকার চতুর্থ সন্তান।[3] তাঁর ছেলেবেলা কেটেছিল ইস্টউড, নটিংহ্যামশায়ারের কয়লাখনি অঞ্চলে। ইস্টউডের ৮এ, ভিক্টোরিয়া স্ট্রিটস্থ তাঁর জন্মস্থানটি এখন এক সংগ্রহশালা।[4] লরেন্সের প্রাথমিক রচনাগুলির উপাদান তিনি সংগ্রহ করেছিলেন তাঁর ছেলেবেলার এই শ্রমজীবী পরিমণ্ডল ও পিতামাতার সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে। এই অঞ্চলটিকে বলতেন তাঁর "হৃদয়ভূমি" ("the country of my heart,")। বারবার তাঁর গল্প-উপন্যাসের পটভূমি রচনার মাধ্যমে এখানে ফিরে আসতেন তিনি।
১৮৯১ থেকে ১৮৯৯ পর্যন্ত লরেন্স বিউভেল বোর্ড স্কুলে (বর্তমানে তাঁর সম্মানে গ্রিসলি বিউভেল ডি এইচ লরেন্স প্রাইমারি স্কুল নামাঙ্কিত) পড়াশোনা করে। স্থানীয় ছাত্রদের মধ্যে তিনিই প্রথম নিকটবর্তী নটিংহ্যামের নটিংহ্যাম হাইস্কুলে কাউন্টি কাউন্সিল বৃত্তি লাভ করেন। বর্তমানে এই স্কুলের জুনিয়র বিভাগে একটি হাউস তাঁর নামাঙ্কিত। ১৯০১ সালে স্কুল ছেড়ে তিন মাস হেইউডের সার্জিক্যাল অ্যাপ্লিয়েন্সেজ ফ্যাক্টরিতে জুনিয়র ক্লার্কের চাকরি করেন। কিন্তু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর কর্মজীবনের অবসান ঘটে। সেরে ওঠার পর তিনি চেম্বার্স পরিবারের বাসভবন হ্যাগস ফার্মে যাতায়াত শুরু করেন। এই সময় জেসি চেম্বার্সের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। জেসির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও অন্যান্য কিশোরবয়স্কদের সঙ্গে তাঁর সংসর্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল বইপড়ার প্রতি সাধারণ আগ্রহ। এই আগ্রহ তাঁর সারাজীবনই থেকে যায়। ১৯০২ থেকে ১৯০৬ পর্যন্ত ইস্টউডের ব্রিটিশ স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেন। ১৯০৮ সালে পূর্ণ সময়ের ছাত্র হিসেবে ইউনিভার্সিটি কলেজ নটিংহ্যাম থেকে কোয়ালিফায়েড টিচার স্ট্যাটাস অর্জন করেন। এই সময়কালে তিনি রচনা করেন তাঁর প্রথম যুগের কবিতাগুলি, কিছু ছোটোগল্প ও লায়েটিটিয়া নামে একটি উপন্যাসের খসড়া, যেটি পরে দ্য হোয়াইট পিকক নামে প্রকাশিত হয়। ১৯০৭ সালের শেষদিকে নটিংহ্যাম গার্ডিয়ান পত্রিকায় তিনি একটি ছোটোগল্প প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এটিই ছিল তাঁর সাহিত্যিক প্রতিভার প্রথম বৃহত্তর আত্মপ্রকাশ।
বৃহত্তর দিগন্ত
১৯০৮ সালে সদ্য যোগ্যতাপ্রাপ্ত লরেন্স তাঁর প্রথম জীবনের বাসভূমি ত্যাগ করে লন্ডনে চলে আসেন। ক্রয়ডনের ডেভিডসন রোড স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। পাশাপাশি চলতে থাকে তাঁর লেখালিখিও। জেসি চেম্বার্সের পাঠানো তাঁর প্রথম দিকের কয়েকটি কবিতা দ্য ইংলিশ রিভিউ পত্রিকার প্রভাবশালী সম্পাদক ফোর্ড ম্যাডক্স ফোর্ডের (তখন তিনি পরিচিত ফোর্ড হারমান হেফার নামে) নজরে পড়ে। তাঁর সম্মতিতে অডর অব ক্রিস্যানথেমামস গল্পটি উক্ত পত্রিকায় ছাপা হয়। তাতে লন্ডনের বিশিষ্ট প্রকাশন সংস্থা হেইনম্যান আগ্রহী হয়ে তাঁকে আরও লিখতে অনুরোধ করে। পেশাদার লেখক হিসেবে তাঁর জীবনের সেই সূত্রপাত; যদিও তার পরেও পুরো এক বছর তিনি শিক্ষকতা করে গিয়েছিলেন। ১৯১০ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস দ্য হোয়াইট পিকক প্রকাশের অব্যবহিত পরেই লরেন্সের মা মারা যান। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে যুবক লরেন্স অত্যন্ত ভেঙে পরেন। মায়ের মৃত্যুর পরবর্তী মাসগুলিকে তিনি পরে ব্যাখ্যা করেছিলেন তাঁর "অসুখের বছর" ("sick year") হিসেবে। স্পষ্টতই বোঝা যায়, মায়ের সঙ্গে লরেন্সের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই মায়ের মৃত্যু তাঁর জীবনে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড় প্রতিপন্ন হয়। ঠিক যেমন মিসেস মোরেলের মৃত্যু তাঁর বিখ্যাত আত্মজৈবনিক উপন্যাস সনস অ্যান্ড লাভার্স রচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে দাঁড়ায়। এই রচনাটিতে তাঁর মফস্বলে বেড়ে ওঠার ইতিকথা অনেকটাই তুলে ধরেছিলেন।
১৯১১ সালে এডওয়ার্ড গারনেটের সঙ্গে লরেন্সের আলাপ হয়। গারনেট ছিলেন পাবলিশার্স রিডার এবং একজন উপদেষ্টা। তিনি লরেন্সকে আরো উৎসাহিত করেন। দু’জনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। গারনেটের পুত্র ডেভিড গারনেটের সঙ্গেও তাঁর বন্ধুত্ব হয়। তরুণ লেখক লরেন্সের এই মাসটি কাটে পল মোরেল উপন্যাসের প্রথম খসড়া সংশোধন করে। পরবর্তীকালে এই বইটিই সনস অ্যান্ড লাভার্স নামে প্রকাশিত হয়। সেই সঙ্গে তাঁর সহকর্মী শিক্ষিকা হেলেন কর্ক তাঁকে নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরি পড়তে দেন। এই ডায়েরিতে লিখিত কর্কের দুঃখজনক প্রেমকাহিনি তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য ট্রেসপাসার-এর কাঠামো নির্মাণে সহায়তা করে। ১৯১১ সালের নভেম্বরে লরেন্স আবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। সেরে উঠে তিনি স্থির করেন যে শিক্ষকতার পেশা পরিত্যাগ করে পূর্ণ সময়ের লেখালিখির কাজে আত্মনিয়োগ করবেন। নটিংহ্যাম ও ইস্টউডের তাঁর পুরনো বান্ধবী লুই বারোজের সঙ্গে তিনি তাঁর সম্পর্কও ভেঙে দেন।
১৯১২ সালের মার্চ মাসে ফ্রেডা উইকলি (নি ভন রিচথোফেন)-র সঙ্গে আলাপ হয় লরেন্সের। এঁর সঙ্গেই তিনি তাঁর অবশিষ্ট জীবন কাটিয়েছিলেন। ফ্রেডা ছিলেন নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক ভাষা অধ্যাপক তথা লরেন্সের প্রাক্তন শিক্ষক আর্নেস্ট উইকলির স্ত্রী। তিন সন্তানের জননী ফ্রেডা তাঁর নতুন প্রণয়ীর চেয়ে বয়সে ছয় বছরের বড় ছিলেন। লরেন্সের সঙ্গে তিনি পালিয়ে আসেন জার্মানির গ্যারিসন শহর মেটজ-স্থিত ফ্রেডার পৈতৃক বাড়িতে। এই শহরটি ছিল জার্মানি ও ফ্রান্সের অশান্ত সীমান্ত অঞ্চলের কাছাকাছি। এখানে থাকার সময় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লরেন্সের সংঘাত বাধে; তাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়; যদিও ফ্রেডা উইকলির বাবার মধ্যস্থতায় তিনি মুক্তি পান। এই ঘটনার পর লরেন্স চলে আসেন মিউনিখের দক্ষিণে একটি ছোটো গ্রামে। এইখানেই ফ্রেডা উইকলির সঙ্গে তিনি যাপন করেন তাঁদের "মধুচন্দ্রিমা"; পরবর্তীকালে যার স্মৃতি বিধৃত হয় লুক! উই হ্যাভ কাম থ্রু (১৯১৭) নামক প্রেমের কবিতামালায়।
জার্মানি থেকে আল্পসের পথ ধরে দক্ষিণে ইতালির দিকে পদব্রজে রওয়ানা হন তাঁরা। এই যাত্রার স্মৃতি ধরা আছে তাঁর প্রথম ভ্রমণ কাহিনি টুইলাইট ইন ইতালি নামক পরস্পর-সংযুক্ত প্রবন্ধসংগ্রহ এবং মিস্টার নুন নামক এক অসমাপ্ত উপন্যাসে। ইতালিতে থাকাকালীন লরেন্স সনস অ্যান্ড লাভার্স উপন্যাসের চূড়ান্ত খসড়াটি প্রস্তুত করেন। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাস তাঁর প্রথম জীবনে দেখা শ্রমিক শ্রেণির বাস্তব জীবনচিত্রের একটি স্পষ্ট চিত্রণ রূপে আখ্যাত হয়। যদিও লরেন্স এই কাজে এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েন যে এডওয়ার্ড গারনেটকে মূলপাঠ থেকে প্রায় একশো পাতা বাদ দেওয়ার অনুমতি দিয়ে দেন।
১৯১৩ সালে এক স্বল্পকালীন সফরে ফ্রেডা ও লরেন্স ইংল্যান্ডে ফেরেন। এই সময় সমালোচক জন মিডলটন মারে ও নিউজিল্যান্ড-জাত ছোটোগল্পকার ক্যাথারিন ম্যানসফিল্ডের সঙ্গে তাঁর আলাপ ও বন্ধুত্ব হয়। অল্পকাল পরেই লরেন্স ও ফ্রেডা ইতালিতে ফিরে যান এবং গালফ অব স্পেজিয়া তটস্থ ফিয়াসেরিনোর একটি কটেজে বসবাস শুরু করেন। এখানেই তিনি তাঁর দুই বহুপরিচিত উপন্যাস দ্য রেইনবো ও উইমেন ইন লাভ-এর প্রাথমিক খসড়া রচনার কাজ শুরু করেন। অবশেষে উইকলিও তাঁর পূর্বতন স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছিন্না হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ঘোষিত হলে তাঁরা ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং ১৯১৪ সালের ১৩ জুলাই পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।
উইকলির জার্মান বংশপরিচয় ও লরেন্সের শান্তিবাদের কারণে যুদ্ধকালীন ইংল্যান্ডে তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখা হতে থাকে। যেকারণে তাঁদের থাকতে হয় প্রায় একঘরে হয়। ১৯১৫ সালে প্রকাশিত দ্য রেইনবো উপন্যাসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় এবং অশালীনতার অভিযোগে সেই বছরই বইটি নিষিদ্ধ হয়। জেনরের কর্নওয়াল উপকূল অঞ্চলে তাঁরা বাস করছিলেন বলে তাঁদের বিরুদ্ধে পরে চরবৃত্তি ও জার্মান ডুবোজাহাজগুলিকে সংকেত জানানোর অভিযোগও আনা হয়। এই সময়েই তিনি উইমেন ইন লাভ উপন্যাসের চূড়ান্ত খসড়াটি রচনা করেন। এই উপন্যাসে সমসাময়িক সভ্যতার ধ্বংসপ্রবণ দিকগুলি লরেন্স দেখিয়েছেন চারটি প্রধান চরিত্রের মধ্যে ঘনায়মান সম্পর্কের গঠন তথা ললিতকলা, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, যৌন অভিজ্ঞতা, বন্ধুত্ব ও বিবাহ সম্পর্কে তাদের মূল্যবোধের প্রতিফলনের মাধ্যমে। এই গ্রন্থে একটি হতাশাব্যঞ্জক তিক্ত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়েছে মানবসমাজকে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই গ্রন্থের প্রকাশ অসম্ভব ছিল। তাই ১৯২০ সালের আগে এই বই প্রকাশ করা যায়নি। বর্তমানে এই গ্রন্থটি বিবেচিত হয় উচ্চ নাটকীয় শক্তি ও বৌদ্ধিক সূক্ষ্মতা সম্বলিত এক ইংরেজি উপন্যাস হিসেবে।
১৯১৭ সালের শেষদিকে বারবার সামরিক কর্তৃপক্ষের হয়রানির শিকার হয়ে লরেন্স ডিফেন্স অব রেম অ্যাক্ট (ডিওআরএ)-এর অধীনে তিন দিনের নোটিসে কর্নওয়াল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই বিচারপ্রক্রিয়াটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত তাঁর অস্ট্রেলীয় উপন্যাস ক্যাঙারু-র এক আত্মজৈবনিক অধ্যায়ে ধরা আছে। নিউবেরি, বার্কশায়ার-এর কাছে হার্মিটেজ নামে এক ছোট্টো গ্রামে ১৯১৮ সালের প্রথম দিকে কয়েকমাস কাটান লরেন্স। ১৯১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯১৯ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত প্রায় এক বছর কাল তিনি অতিবাহিত করেন মিডলটন-বাই-রিকসওয়ার্থ, ডার্বিশায়ার-এর মাউন্টেন কটেজে। এখানে থাকার সময় তিনি রচনা করেন তাঁর সর্বাধিক কাব্যময় ছোটোগল্পমালা দ্য উইন্ট্রি পিকক। ১৯১৯ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্যের তাড়নায় বারংবার তাকে ঠিকানা বদল করতে হতে থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণে একবার তাঁর জীবনসংশয় পর্যন্ত দেখা দেয়।
বর্বর তীর্থযাত্রার সূচনা
যুদ্ধের বছরগুলিতে লরেন্স মানসিকভাবে আহত হয়ে পড়েন। তারপরেই শুরু হয় তাঁর স্বেচ্ছা-নির্বাসন পর্ব; তাঁর নিজের যা ছিল 'বর্বর তীর্থযাত্রা' ('savage pilgrimage')। প্রথম সুযোগেই তিনি ইংল্যান্ড থেকে পালিয়ে যান। পরে মাত্র দু-বার তিনি স্বল্পসময়ের সফরে ফিরে এসেছিলেন ইংল্যান্ডে। অবশিষ্ট জীবন নিজের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করেই কাটিয়ে দেন লরেন্স। ভ্রমণের নেশা তাঁকে নিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া, ইতালি সিলোন (অধুনা শ্রীলঙ্কা), যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও দক্ষিণ ফ্রান্সে।
১৯১৯ সালের নভেম্বর মাসে ইংল্যান্ড ছেড়ে লরেন্স দক্ষিণ দিকে যাত্রা করেন; প্রথমে যান মধ্য ইতালির অ্যাব্রুজি অঞ্চলে, পরে রওনা হন ক্যাপ্রি ও তাওরমিনা, সিসিলি-র ফন্টানা ভেচাইয়ার দিকে। সিসিলি থেকে স্বল্পসময়ের শিক্ষামূলক ভ্রমণ সারেন সার্ডিনিয়া, মন্টে ক্যাসিনো, মালটা, উত্তর ইতালি, অস্ট্রিয়া ও দক্ষিণ জার্মানি অঞ্চলে। তাঁর রচনায় এইসব অঞ্চলের অনেকগুলিরই উল্লেখ পাওয়া যায়। এই সময় লিখিত তাঁর নতুন উপন্যাসগুলি হল দ্য লস্ট গার্ল (যে বইটির জন্য তিনি জেমস টেইট ব্ল্যাক স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন), অ্যারন’স রড ও মিস্টার নুন নামক একটি খণ্ডাংশ (যার প্রথম ভাগ লেখকের ফিনিক্স সংকলনে ও ১৯৮৪ সালে সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়)। এই সময় কয়েকটি অনু-উপন্যাস নিয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা করেন লরেন্স: দ্য ক্যাপ্টেন’স ডল, দ্য ফক্স, ও দ্য লেডিবার্ড। তার সঙ্গে এই সময় লিখিত তাঁর ছোটোগল্পগুলি প্রকাশিত হয় ইংল্যান্ড, মাই ইংল্যান্ড অ্যান্ড আদার স্টোরিজ সংকলনে। দ্য বার্ড, বিস্ট অ্যান্ড ফ্লাওয়ার কাব্যগ্রন্থে প্রাকৃতিক জগৎ সম্বন্ধে এই ক’বছরে তাঁর লেখা একাধিক কবিতা সংকলিত হয়। ইংরেজি ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভ্রমণসাহিত্য রচনাকার হিসেবে লরেন্সের প্রসিদ্ধি বহুজনমান্য। ১৯২১ সালের জানুয়ারি মাসে টাওরমিনায় তাঁর সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের বিবরণ মেলে সি অ্যান্ড সার্ডিনিয়া গ্রন্থে। এই বইটি ভূমধ্যসাগরের এই অংশের জনজীবনের এক প্রতিচ্ছবি। অপেক্ষাকৃত অল্পখ্যাত রচনা হল মরিস ম্যাগনাসের অসামান্য স্মৃতিচারণা (মেমোয়ার্স অব ফরেন লিজিয়ন), যে গ্রন্থে লরেন্স তাঁর মন্টে ক্যাসিনোর মঠভ্রমণের কথা লিখেছেন। অন্যান্য গদ্যরচনার মধ্যে রয়েছে ফ্রেডিয়ান ও সাইকো-অ্যানালিলিস সংক্রান্ত দুটি গবেষণাপত্র, মুভমেন্ট ইন ইউরোপিয়ান হিস্ট্রি নামে একটি স্কুলপাঠ্য পুস্তক, যা তিনি ইংল্যান্ডে তাঁর কুখ্যাতির কারণে ছদ্মনামে প্রকাশ করেন।
পরবর্তী জীবন ও সৃষ্টিকর্ম
১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের ইচ্ছা নিয়ে লরেন্স সেই দিকে যাত্রা করেন। তাঁরা ভেসে চলেন পূর্বদিকে; প্রথমে সিলোন ও পরে অস্ট্রেলিয়ায়। ডারলিংটন, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় স্বল্পকালীন অধিষ্ঠানের সময় স্থানীয় লেখক মলি স্কিনারের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তারপর উপকূলীয় শহর থিরোউল, নিউ সাউথ ওয়েলস-এ অল্পকাল বাস করেন। এই সময় তিনি ক্যাঙারু নামক উপন্যাসটি সমাপ্ত করেন। এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য ছিল স্থানীয় প্রান্তিক রাজনীতি; তার সঙ্গে যুদ্ধকালীন তাঁর কর্নওয়ালের অভিজ্ঞতার এক ঝলক দেখা মেলে এই উপন্যাসে।
১৯২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছান লরেন্স। এখানে বিশিষ্ট সমাজপতি ম্যাবেল ডজ লুহানের সঙ্গে তাঁদের আলাপ হয়। টাওস, নিউ ম্যাক্সিকো-র কাছে কিউয়া রাঞ্চে ১৬০ একর জমিতে একটি ইউটোপিয়ান কলোনি স্থাপনে সম্মত হন তাঁরা। সনস অ্যান্ড লাভার্স উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির পরিবর্তে তাঁরা ১৯২৪ সালে সেই ভূসম্পত্তি ক্রয় করেন। এই রাঞ্চটি বর্তমানে ডি এইচ লরেন্স রাঞ্চ নামে পরিচিত। দুই বছর তিনি নিউ মেক্সিকোতে থাকেন। মাঝে মেক্সিকোর লেক চ্যাপালা ও ওয়াক্সাকা পরিভ্রমণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন লরেন্স তাঁর স্টাডিজ ইন ক্ল্যাসিক আমেরিকান লিটারেচার গ্রন্থটির পুনর্লিখন ও প্রকাশনায় মন দেন। ১৯১৭ সালে এই সমালোচনা প্রবন্ধমালার রচনার কাজ শুরু হয়েছিল। পরে এডমন্ড উইলসন এই গ্রন্থটি সম্পর্কে মন্তব্য করেন, "(এটি) এই বিষয়ের উপর লিখিত চিরন্তন ও প্রথম শ্রেণির বইগুলির একটি।" প্রতীকবাদ, নিউ ইংল্যান্ড তুরীয়বাদ ও পিউরিটান চেতনার অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন এই প্রবন্ধগুলি ১৯২০-এর দশকে হারমান মেলভিলের হৃতসম্মান পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এই সময় লরেন্স রচনা করেন একগুচ্ছ কথাসাহিত্য। যার মধ্যে উল্লেখনীয় দ্য বয় ইন দ্য বুশ, দ্য প্লামড সারপেন্ট, সেন্ট মাওয়ার, দ্য ওম্যান হু রোড অ্যাওয়ে, দ্য প্রিন্সেস ও বিক্ষিপ্ত ছোটোগল্পগুচ্ছ। এই সময় তিনি আরও কিছু ভ্রমণ সাহিত্য রচনারও সময় পেয়ে যান; যেমন কয়েকটি পরস্পর সংযুক্ত শিক্ষাভ্রমণের কাহিনি মর্নিংস ইন মেক্সিকো।
১৯২৩ সালের শেষদিকে ইংল্যান্ডের দিকে তাঁর স্বল্পকালীন সমুদ্রযাত্রা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তিনি টাওসে ফিরে আসেন এবং বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে লেখক হিসেবে তাঁর জীবন এখন আমেরিকাতেই প্রতিষ্ঠিত। যদিও ১৯২৫ সালের মার্চ মাসে মেক্সিকোয় তাঁর তৃতীয় ভ্রমণের সময় তিনি মারণ ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। সেরে উঠলেও শারীরিক অবস্থার কারণে তাঁর আর একবার ইউরোপ প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে তিনি সাংঘাতিক রকমের অসুস্থ ছিলেন এবং তাঁর স্বাস্থ্যও অনুকূল ছিল না; ভ্রাম্যমান জীবন অতিবাহিত করা তাই তখন তাঁর পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ফ্লোরেন্সের কাছে উত্তর ইতালিতে একটি ভিলায় লরেন্স ঘর বাঁধেন। এখানেই তিনি রচনা করেন দ্য ভার্জিন অ্যান্ড দ্য জিপসি ও লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার (১৯২৮) উপন্যাসের কয়েকটি পাঠ। দ্বিতীয় গ্রন্থটি ছিল তাঁর সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ফ্লোরেন্স ও প্যারিসে ব্যক্তিগত সংস্করণে প্রকাশিত এই উপন্যাসখানি তাঁর কুখ্যাতির পালে হাওয়া জোগায়। যাঁরা এর তথাকথিত অশ্লীলতায় আহত হয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লরেন্স অনেকগুলি ব্যঙ্গকবিতা রচনা করেন। এগুলি " প্যান্সিস " ও" নেটলস " শিরোনামে প্রকাশিত হয়; এবং প্রকাশিত হয় পর্নোগ্রাফি অ্যান্ড অবসিনিটি নামক একটি রচনা।
ইতালিতে প্রত্যাবর্তন তাঁকে কিছু পুরনো বন্ধুত্বের সম্পর্কে জাগিয়ে তোলার সুযোগ দেয়। এই বছরগুলিতে বিশেষত অ্যালডাস হাক্সলের সঙ্গে তাঁর বিশেষ ঘনিষ্ঠতা হয়। হাক্সলে লরেন্সের মৃত্যুর পর একটি স্মৃতিকথা ও তাঁর প্রথম পত্রাবলির সংকলন প্রকাশ করেন। ১৯২৭ সালের এপ্রিলে শিল্পী আর্ল ব্রিউস্টারের সঙ্গে লরেন্স একাধিক স্থানীয় প্রত্নস্থল পরিভ্রমণ করেন। এই প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রগুলির বর্ণনা তিনি দেন একাধিক প্রবন্ধে যেগুলি স্কেচেস অব এট্রুস্কান প্লেসেস অ্যান্ড আদার ইতালীয় এসেজ গ্রন্থে। এই সুন্দর গ্রন্থে বেনিতো মুসোলিনির ফ্যাসিবাদের উজ্জ্বল অতীতের বিপরীত দিকটি সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
লরেন্স কথাসাহিত্য রচনাও চালিয়ে যান। রচিত হয় কিছু ছোটোগল্প ও দ্য এসকেপড কক , যা দ্য ম্যান হু ডায়েড নামেও প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে যিশু খ্রিস্টের পুনরুজ্জীবনের এক সংস্কারমুক্ত পুনর্লিখন লক্ষিত হয়। এই শেষ বছরগুলিতে তৈলচিত্রের প্রতি লরেন্সের গভীর অনুরাগ আবার নতুন করে জেগে ওঠে। সরকারি হয়রানিও চলতে থাকে। লন্ডনের ওয়ারেন গ্যালারিতে ১৯২৯ সালে আয়োজিত তাঁর এক চিত্রপ্রদর্শনীতে পুলিশ হানা দেয় ও বেশ কিছু চিত্রকর্ম বাজেয়াপ্ত করে। তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পর থেকে টাওসের লা ফন্ডা হোটেলে তাঁর নয়টি চিত্র স্থায়ীভাবে প্রদর্শিত হতে থাকে। হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্কের পিছনে একটি ছোটো অফিসে সেগুলি রক্ষিত আছে এবং জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত।
মৃত্যু
স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলেও লরেন্স লেখালিখি চালিয়ে যান। শেষ মাসগুলিতে তিনি রচনা করেন অসংখ্য কবিতা, সমালোচনা, প্রবন্ধ ও যাঁরা তাঁর শেষ উপন্যাস বাজেয়াপ্ত করার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন তাঁদের বিরুদ্ধে তীব্র আত্মপক্ষ-সমর্থনমূলক রচনা। তাঁর সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ রচনা হল বুক অব রিভিলেশন, অ্যাপোক্যালিপস -এর উপর রচিত তাঁর স্বকীয় চিন্তাধারা। স্যানাটোরিয়াম থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁর যক্ষ্মা জটিল আকার ধারণ করে এবং ফ্রান্সের ভেন্স-স্থিত ভিলা রবারমন্ডে তিনি প্রয়াত হন। ফ্রেডা উইকলি টাওসের রাঞ্চে ফিরে আসেন। পরে তাঁর তৃতীয় স্বামী লরেন্সের চিতাভষ্ম নিয়ে আসেন নিউ মেক্সিকো পার্বত্য অঞ্চলের একটি ছোটো চ্যাপেলে সংরক্ষণের জন্য।
যৌনতা
১৯১৬-১৭ সালে কর্নওয়ালে উইমেন ইন লাভ রচনার সময় লরেন্সের সঙ্গে উইলিয়াম হেনরি হকিং নামে এক কৃষকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও সম্ভবত প্রণয়সম্পর্ক গড়ে ওঠে।[5] এই সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্ক ছিল কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায় না; যদিও ফ্রেডা উইকলির বিশ্বাস তাই ছিল। লরেন্সের নিজস্ব যৌন প্রবৃত্তির সঙ্গে সমকামী বিষয়বস্তুর প্রতি তাঁর আগ্রহ বেশ লক্ষ্যনীয়। উইমেন ইন লাভ উপন্যাসে এই থিম নিয়ে প্রকাশ্যেই আলোচনা করেন তিনি। বাস্তবিকই, ১৯১৩ সালে লিখিত একটি চিঠিতে তিনি জানান, " আমার জানতে ইচ্ছে করে, কেন মহত্বের প্রতি অগ্রসর প্রতিটি মানুষের মধ্যেই নিজের জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে সমকামী মনোভাব লক্ষিত হয়..." [6] তাঁর রচনা থেকে আরও উদ্ধৃত হয়, "ষোলো বছর বয়সে এক তরুণ কয়লাখনি শ্রমিকের সংস্পর্শে এসেছিলাম; আমার মনে হয় আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রণয়ী সে-ই।"[7]
মরণোত্তর সম্মাননা
লরেন্সের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে সংবাদপত্রে তাঁর যে মৃত্যুসংবাদ সংবলিত জীবনীগুলি প্রকাশিত হয় সেগুলি ছিল অসহানুভূতিশীল ও প্রতিকূল মনোভাবাপন্ন। ই এম ফরস্টার ছিলেন এর ব্যতিক্রম। তবে আরও অনেকেই ছিলেন যাঁরা লেখকের জীবন ও সৃষ্টিকর্মের যথাযথ মূল্যায়ন সমাজের চোখের সামনে তুলে ধরেন। উদাহরণস্বরূপ, লরেন্সের দীর্ঘ সময়ের বন্ধু ক্যাথারিন কার্সওয়েল ১৯৩০ সালের ১৬ মার্চ টাইম অ্যান্ড টাইড পত্রিকায় পত্রাকারে লরেন্সের জীবনকথা প্রকাশ করেন। এই চিঠির সমালোচনার জবাবে তিনি যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তা ছিল:
In the face of formidable initial disadvantages and life-long delicacy, poverty that lasted for three quarters of his life and hostility that survives his death, he did nothing that he did not really want to do, and all that he most wanted to do he did. He went all over the world, he owned a ranch, he lived in the most beautiful corners of Europe, and met whom he wanted to meet and told them that they were wrong and he was right. He painted and made things, and sang, and rode. He wrote something like three dozen books, of which even the worst page dances with life that could be mistaken for no other man's, while the best are admitted, even by those who hate him, to be unsurpassed. Without vices, with most human virtues, the husband of one wife, scrupulously honest, this estimable citizen yet managed to keep free from the shackles of civilization and the cant of literary cliques. He would have laughed lightly and cursed venomously in passing at the solemn owls–each one secretly chained by the leg–who now conduct his inquest. To do his work and lead his life in spite of them took some doing, but he did it, and long after they are forgotten, sensitive and innocent people–if any are left–will turn Lawrence's pages and will know from them what sort of a rare man Lawrence was.
১৯৩২ সালে প্রকাশিত লরেন্সের পত্রাবলি সংকলনের এক ভূমিকাতে অ্যালডাস হাক্সলেও তাঁর পক্ষাবলম্বন করেন। যদিও সাহিত্যে লরেন্সের অবদানের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী মুখপাত্র ছিলেন কেমব্রিজ সাহিত্য সমালোচক এফ আর লিভিস। তাঁর মতে ইংরেজি কথাসাহিত্যের ধারায় লরেন্সের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিভিস দ্য রেইনবো, উইমেন ইন লাভ ও তাঁর ছোটোগল্পগুলিকে প্রথম শ্রেণির শিল্পকলা বলে অভিহিত করেছেন। পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালের লেডি চ্যাটার্লি বিচারের পর এই বইয়ের প্রকাশ জনমানসে লরেন্সের প্রসিদ্ধি (বা কুখ্যাতি) আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
কেট মিলেট প্রমুখ একাধিক নারীবাদী সমালোচক লরেন্সের যৌন রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এর ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁর সম্মানহানি ঘটে। অন্যদিকে লরেন্সের রচনা ধীরে ধীরে পাঠক পেতে থাকে। দ্য কেমব্রিজ এডিশন অব দ্য লেটার্স অ্যান্ড ওয়ার্কস অব ডি এইচ লরেন্স নামে একটি নতুন গবেষণাধর্মী সংকলনে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের নতুন একটি দিক উন্মোচিত হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিকতার অভিযোগটিও ঠিক সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। তিনি (আপাতভাবে বিরোধী) নারীবাদী দৃষ্টিকোণের সমর্থন করেন। তাঁর লিখিত উপাদান থেকেই প্রমাণিত হয় নারীজাতিকে শক্তিশালী, স্বাধীন ও জটিলরূপে উপস্থাপনার প্রতি তাঁর কতটা মনোযোগ ছিল। তাঁর প্রধান প্রধান রচনার কেন্দ্রীয় চরিত্রেই দেখা যায় তরুণী ও স্বনিয়ন্ত্রিত নারী চরিত্রদের। হ্যারিসন[8] লরেন্সের রচনার হৃদয়স্থলে প্রবাহিত এক ধর্ষকামিতার স্বতন্ত্র ধারার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস
সম্ভবত লরেন্সের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ উপন্যাসগুলি হল: সনস অ্যান্ড লাভার্স, দ্য রেইনবো, উইমেন ইন লাভ ও লেডি চ্যাটার্লি’জ লাভার। এই উপন্যাসগুলির মধ্যেই লরেন্স শিল্পযুগের প্রেক্ষাপটে জীবন ও জীবনধারণের সম্ভাবনার দিকটি খতিয়ে দেখেছেন। নির্দিষ্টভাবে বললে এই পরিমণ্ডলে মানবীয় সম্পর্কের স্বরূপ কী হতে পারে তা লরেন্সের নখদর্পনে ছিল। মাঝে মাঝে বাস্তবতাবোধের সঙ্গে সংঘাত ঘটলেও তাঁর চরিত্রগুলিকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন যাতে তাঁর দর্শনচিন্তার প্রেক্ষিতে তাদের বোঝা সহজ হয়। তাঁর উপন্যাসে যৌনক্রিয়ার যে ব্যবহার সমকালীন দৃষ্টিভঙ্গিকে ভয়ংকর রকম নাড়া দিয়েছিল; তার শিকড় ছিল অত্যন্ত ব্যক্তিগত তাঁর চিন্তাধারা ও সত্ত্বার গভীরে। উল্লেখনীয়, লরেন্স মানবীয় স্পর্শ আচরণে অত্যন্ত বিশ্বাসী ছিলেন (হ্যাপটিকস দেখুন)। শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় তাঁর আগ্রহের মূলে ছিল আমাদের দৈহিক গুরুত্বের পুনর্বাসন ও সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে তার পুনঃসামঞ্জস্যবিধান যা, লরেন্সের চোখে ছিল মনের উপর পশ্চিমি সভ্যতার অতিরিক্ত গুরুত্বদানের শ্লথ প্রক্রিয়া। পরবর্তী বছরগুলিতে ছোটো উপন্যাস রচনায় লরেন্স তাঁর হাত পাকান। এই উপন্যাসগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সেন্ট মাওয়ার, দ্য ভার্জিন অ্যান্ড দ্য জিপসি ও দ্য এসকেপড কক।
ছোটগল্প
লরেন্স অনেক ছোটগল্প রচনা করেন। তাঁর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ গল্পগুলি হল দ্য ক্যাপ্টেন’স ডল, দ্য ফক্স, দ্য লেডিবার্ড, অডর অব ক্রিসানথেমামস, দ্য প্রিন্সে, দ্য রকিং হর্স উইনার, সেন্ট মাওয়ার, দ্য ভার্জিন অ্যান্ড দ্য জিপসি ও দি ওম্যান হু রোড অ্যাওয়ে (দ্য ভার্জিন অ্যান্ড দ্য জিপসি লরেন্সের মৃত্যুর পরে অনুউপন্যাসের আকারে প্রকাশিত হয়)।
তাঁর সর্বাধিক প্রশংসিত গল্পসংকলনের মধ্যে ১৯১৬ সালে প্রকাশিত দ্য প্রুশিয়ান অফিসার অ্যান্ড আদার স্টোরিজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই গ্রন্থে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে লরেন্সের মনোভাবে একটি অন্তর্কথন মেলে। ১৯২৮ সালে প্রকাশিত দ্য ওম্যান হু রোড অ্যাওয়ে অ্যান্ড আদার স্টোরিজ গ্রন্থে তিনি সেই নেতৃত্বের থিমগুলি গড়ে তুলেছেন যা ক্যাঙারু, দ্য প্লামড সারপেন্ট ও ফ্যানি অ্যান্ড অ্যানি -র মতো উপন্যাসেও তিনি ফুটিয়ে তোলেন।
কবিতা
লরেন্স মূলত তাঁর উপন্যাসগুলির জন্য বিখ্যাত হলেও, তিনি রচনা করেছিলেন প্রায় আটশো কবিতা, যার অধিকাংশই ছিল তুলনামূলকভাবে ছোটো আকারের। তিনি প্রথম কবিতা লেখেন ১৯০৪ সালে। ড্রিমস ওল্ড ও ড্রিমস ন্যাসেন্ট নামে তাঁর প্রথম যুগের দুটি কবিতা প্রকাশিত হয় দ্য ইংলিশ রিভিউ পত্রিকায়। তাঁর আদি কবিতাগুলি তাঁকে গ্রেগরিয়ান কবিদের ঘরানার অন্তর্ভুক্ত করে। এই ঘরানার নাম শুধু তৎকালে রাজত্বকারী সম্রাটের নামেই ছিল না, তাঁরা পূর্ববর্তী গ্রেগরিয়ান যুগের রোম্যান্টিক কবিদের অনুসরণে কাব্যরচনার চেষ্টায় রত ছিলেন। এই সমগ্র কাব্যান্দোলন ও লরেন্সের কাব্যকৃতির বৈশিষ্ট্য ছিল বহুপ্রচলিত কাব্যিক ট্রোপ ও অপ্রচলিত ভাষার ইচ্ছাকৃত ব্যবহার। জন্তু ও জড়পদার্থের মধ্যে মানবীয় আবেগের যে আধানকে জন রাস্কিন "প্যাথেটিক ফ্যালাসি" আখ্যা দেন, তাও লরেন্সের অনেক কবিতায় খুঁজে পাওয়া যায়।
It was the flank of my wife
I touched with my hand, I clutched with my hand,
rising, new-awakened from the tomb!
It was the flank of my wife
whom I married years ago
at whose side I have lain for over a thousand nights
and all that previous while, she was I, she was I;
I touched her, it was I who touched and I who was touched.
-- excerpt, New Heaven and Earth
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদানকারী অনেক কবির লেখার ধরন রাতারাতি বদলে যায়। কর্নওয়ালে থাকাকালীন লরেন্সের নিজের রচনাতেও এক নাটকীয় পরিবর্তন আসে। এই সময় ওয়াল্ট হুইটম্যানের প্রভাবে তিনি মুক্তছন্দে কবিতা লিখতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে রচিত কাব্যগ্রন্থ নিউ পোয়েমস -এর ভূমিকায় তিনি তাঁর কাব্যসনদ ঘোষণা করেন: "We can get rid of the stereotyped movements and the old hackneyed associations of sound or sense. We can break down those artificial conduits and canals through which we do so love to force our utterance. We can break the stiff neck of habit...But we cannot positively prescribe any motion, any rhythm."
নিঁখুত করার উদ্দেশ্যে লরেন্স তাঁর উপন্যাসগুলির পুনর্লিখন করতেন। ১৯২৮ সালে একইরকমভাবে তাঁর আদি কবিতাগুলি সংকলনের সময় তিনি সেগুলি পুনর্লিখন করেন। এ ছিল সেই কবিতাগুলির কাহিনিরূপায়ণ। তবে এর ফলে প্রথম যুগের রচনার কিছু চারিত্র্যবৈশিষ্ট্য অবলুপ্ত হয়। তাঁর নিজের ভাষায়: "A young man is afraid of his demon and puts his hand over the demon's mouth sometimes and speaks for him." তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতা সম্ভবত তাঁর প্রকৃতি বিষয়ক কবিতাগুলি; যেগুলি সংকলিত হয় বার্ডস বিস্টস অ্যান্ড ফ্লাওয়ারস ও টরটইসেজ গ্রন্থে। তাঁর একটি বহু সংকলিত কবিতা হল স্নেক । আধুনিক মানুষের প্রকৃতি থেকে দূরত্ব ও সূক্ষ্ম ধর্মীয় উপমার তাঁর সবচেয়ে বহুব্যবহৃত থিম এই কবিতায় প্রকট।
In the deep, strange-scented shade of the great dark carob tree
I came down the steps with my pitcher
And must wait, must stand and wait, for there he was at the trough before me.
-- excerpt, Snake
লুক! উই হ্যাভ কাম থ্রু! যুদ্ধসমাপ্তিকালীন যুগে রচিত তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থে তাঁর রচনার অন্য এক সাধারণ বিষয় প্রকাশিত হয়: রচনার মধ্যে নিজেকে নগ্ন করে দেওয়ার প্রবণতা। লরেন্সকে প্রেমের কবিতাকার আখ্যা দেওয়া যেতেই পারে, তবে লরেন্স মূলত যৌন নৈরাশ্য ও যৌনপ্রক্রিয়ার মতো অল্প রোম্যান্টিক বিষয় নিয়েই কাব্যরচনা করেছেন। এজরা পাউন্ড তাঁর লিটারারি এসেজ গ্রন্থে নিজের "নোংরা অনুভূতিসমূহ" ("disagreeable sensations")-এর প্রতি লরেন্সের আগ্রহের অভিযোগ আনেন; কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর "অপরাধমূলক আখ্যান" ("low-life narrative." )-এর প্রশংসাও করেন। এ ছিল রবার্ট বার্ন রচিত স্কটস কবিতা আদলে লেখা লরেন্সের উপভাষা কবিতাগুলির প্রসঙ্গ; এখানে তিনি তাঁর অল্পবয়সে দেখা নটিংহ্যামশায়ারের মানুষের ভাষা ও বিষয়বস্তুর কথা লিখেছেন।
Tha thought tha wanted ter be rid o' me.
'Appen tha did, an' a'.
Tha thought tha wanted ter marry an' se
If ter couldna be master an' th' woman's boss,
Tha'd need a woman different from me,
An' tha knowed it; ay, yet tha comes across
Ter say goodbye! an' a'.
-- excerpt, The Drained Cup
পাউন্ড ছিলেন আধুনিক কবিতার এক প্রধান মুখপাত্র। যদিও গ্রেগরিয়ান যুগের পর লরেন্সের কবিতায় অনেক আধুনিক লক্ষণ ফুটে ওঠে, তবুও আধুনিক কবিদের কবিতার তুলনায় সেগুলি ছিল অনেকাংশে পৃথক। আধুনিক সাহিত্যকর্ম প্রায়শই হত নৈর্ব্যক্তিক সাহিত্যকর্ম, যেখানে প্রতিটি শব্দ ওজন করে প্রয়োগ করা হত। লরেন্স মনে করতেন প্রতিটি কবিতা হবে ব্যক্তিগত অনুভূতি এবং চলৎশক্তি প্রতিটি সাহিত্যকর্মের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তাঁর একটি কাব্যসংকলনের নাম রাখেন প্যান্সিজ । শব্দটিতে ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজের ফরাসি শব্দ panser-এর খোঁচা ছিল। তবে তাঁর ক্ষতস্থানে আরও আরামদায়ক কিছুর প্রয়োজন ছিল। কারণ ইংল্যান্ডে এই কাব্যগ্রন্থের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্করণ থেকে দ্য নোবেল ইংলিশম্যান ও ডোন্ট লুক অ্যাট মি কবিতাদুটি বাদ দেওয়া হয় অশ্লীলতার অভিযোগে। জীবনের শেষ দশ বছর তাঁর মূলত কাটে ইংল্যান্ডের বাইরে। কিন্তু তার চিন্তাভাবনার কেন্দ্র বেশিরভাগ সময়েই ছিল ইংল্যান্ড। তাঁর শেষ কাব্যগ্রন্থ নেটলস প্রকাশিত হয় মৃত্যুর ঠিক এগারোদিন পর। এ ছিল ইংল্যান্ডে নৈতিকতার আবহাওয়াকে এক তিক্ত, হুল-ফোটানো , কিন্তু বেশ মজার আক্রমণ।
O the stale old dogs who pretend to guard
the morals of the masses,
how smelly they make the great back-yard
wetting after everyone that passes.
-- excerpt, The Young and Their Moral Guardians
লরেন্সের অপ্রকাশিত কবিতার দুটি নোটবই তাঁর মৃত্যুর পর লাস্ট পোয়েমস ও মোর প্যান্সিজ নামে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থদ্বয়েই রয়েছে মৃত্যু সম্পর্কে তাঁর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ কবিতাদ্বয়, ব্যাভারিয়ান জেনটিয়ানস ও দ্য শিপ অব ডেথ।
সাহিত্য সমালোচনা
অন্যান্য সাহিত্যিকদের রচনাপ্রসঙ্গে লরেন্সের সমালোচনা তাঁর নিজস্ব চিন্তাধারা ও রচনার গভীর অন্তর্দৃষ্টির সাক্ষর রেখে যায়। এই ক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল স্টাডিজ অব টমাস হার্ডি অ্যান্ড আদার এসেজ ও স্টাডিজ ইন ক্ল্যাসিক আমেরিকান লিটারেচার। দ্বিতীয় গ্রন্থটিতে হুইটম্যান, মেলভিল ও এডগার অ্যালান পো সম্পর্কে লরেন্সের প্রতিক্রিয়া তাঁর শৈলীর বিশেষ একটি দিককে আলোকিত করেছে।
দর্শনচিন্তা
সারাজীবন ধরে লরেন্স একটি বিশেষভাবে ব্যক্তিগত দর্শন গড়ে তোলেন। এই দর্শনের অনেক বৈশিষ্ট্য ১৯৬০-এর দশকের প্রতিসংস্কৃতির প্রাকচরিত্র হয়ে ওঠে। বাস্তবিক, ১৯৬০-এর দশকের প্রতিসংস্কৃতির সর্বাপেক্ষা আইকনিক চলচ্চিত্র ইজি রাইডার-এ তাঁর উল্লেখও করা হয়। তাঁর অধিকাংশ কথাসাহিত্যের কেন্দ্রীয় দ্বৈতভাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সনস অ্যান্ড লাভার্স-এর অপ্রকাশিত ভূমিকায় এবং এই কাজ করা হয়েছে হোলি ট্রিনিটির সূত্র ধরে। যত তাঁর দর্শন চিন্তাধার গড়ে উঠেছে, ততই লরেন্স সরে গেছেন অধিকতর প্রত্যক্ষ খ্রিস্টান উপমার থেকে এবং তার পরিবর্তে ছুঁয়ে গেছেন অতীন্দ্রিয়বাদ, বৌদ্ধধর্ম ও প্যাগান ধর্মতত্ত্ব। কোনো কোনো মতে বিংশ শতাব্দীতে সংঘটিত অতিলৌকিক অনুশীলনের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন লরেন্স, যদিও নিজেকে তিনি খ্রিস্টান রূপেই অভিহিত করেছেন।
চিত্রকলা
চিত্রকলার প্রতি লরেন্সের আগ্রহ আজীবনের; শেষজীবনে এই চিত্রকলাই তাঁর ভাবপ্রকাশের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে। ১৯২৯ সালে লন্ডনের মেফেয়ার স্থিত ওয়ারেন গ্যালারিতে এই ছবিগুলি প্রদর্শিত হয়। ১৩,০০০ জন এই প্রদর্শনী দেখতে আসেন। প্রদর্শনীটি বিতর্কের ঝড় তোলে। ডেইলি এক্সপ্রেস দাবি করে, " ফ্লাইট উইথ অ্যান আমাজন ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি অতি কুৎসিত দাড়িওয়ালা লোক এক সুন্দরী রমণীকে তার কামুক মুঠির মধ্যে ধরে আছে আর চারিদিকে নেকড়েরা হাঁ করে কিছু পাবার আশায় তাদের দেখছে। নিঃসন্দেহে [এই ছবি] অশালীন।" তবে অনেক শিল্পী ও শিল্পরসিক এই ছবির প্রশংসা করেন। গোয়েন জন এভরিম্যান পত্রিকায় এই প্রদর্শনীর সমালোচনা করতে গিয়ে লরেন্সের "আত্ম-অভিপ্রকাশের বিস্ময়কর ক্ষমতা"-র কথা বলেন এবং কন্টাডিনি-কে বেছে নেন বিশেষ প্রশংসার জন্য। জনসাধারণের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রদর্শনী থেকে বোকাচ্চিও স্টোরি ও কন্টাডিনি সহ পঁচিশটি ছবির তেরোটিকে বাজেয়াপ্ত করে। একাধিক লেখক, শিল্পী ও পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন সত্ত্বেও কেবলমাত্র এই শর্তে লরেন্স তাঁর ছবিগুলি পুনরুদ্ধার করেন যে কোনোদিন তিনি ইংল্যান্ডে এগুলির প্রদর্শনী আয়োজন করবেন না। তাঁর ছবির সর্ববৃহৎ সংগ্রহশালাটি আছে নিউ মেক্সিকোর টাওসের লা ফন্ডা হোটেলে। বোকাচ্চিও স্টোরি ও রেজারেকশন সহ একাধিক ছবি রক্ষিত আছে অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটিজ রিসার্চ সেন্টারে।
উক্তি
"ভাল জন্তু হও, তোমার প্রবৃত্তির কাছে সত্যবদ্ধ থাকো।" -- দ্য হোয়াইট পিকক
"মিসেস মোরেল সবসময়েই বলে থাকেন জীবনোত্তরকালে তাঁর স্বামী কিছুই পাবেন না: শয়তানের নিবাস থেকে বাড়ি আসার সময় তিনি নিচুতলার জগৎ থেকে সাময়িক যন্ত্রণাভোগে স্থলে উত্তীর্ণ হয়েছেন, পালমারস্টোন আর্মসে তিনি অতিক্রম করেছেন স্বর্গলোক।" -- সনস অ্যান্ড লাভার্স (১৯১৩ সালের সংস্করণ থেকে বাদ যাওয়া অংশ, ১৯৯২ সালের সংস্করণে পুনরায় সংযোজিত)
"আমার মনে হয় নিজেকে বিনামূল্যে মজা লোটার জন্য জার্মান বুলেটের সামনে নিজেকে পেতে দেওয়ার পক্ষে আমি অতি মূল্যবান এক জীব।"—হ্যারিয়েট মোনরোকে লেখা চিঠি, ১ অক্টোবর, ১৯১৪
"পৃথিবী জনশূন্য, শুধু অবিচ্ছিন্ন তৃণক্ষেত্র চারিদিকে, আর সেই ঘাসের উপর বসে আছে একটা খরগোশ; তোমার মনে হয় না এটা একটা সুন্দর স্বচ্ছ চিন্তা।" -- উইমেন ইন লাভ
"শিল্পীকে বিশ্বাস কোরো না, কাহিনিকে বিশ্বাস করো।" -- স্টাডিজ ইন ক্ল্যাসিক আমেরিকান লিটারেচার (পাঠান্তর "কাহিনিকারকে বিশ্বাস কোরো না, কাহিনিকে বিশ্বাস করো।")
"আমাদের যুগ মূলগতভাবে এক বিয়োগান্তক যুগ, তাই বিয়োগান্তক পন্থায় একে গ্রহণ করতে আমরা অস্বীকার করছি।"—সূচনাবাক্য, লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার
"তার বাবা স্বাভাবিক মানুষ নন, তিনি যেন ঘরভরা পুরনো প্রবচন। " -- উইমেন ইন লাভ
"ওরা বলে সমুদ্র ঠাণ্ডা, কিন্তু সমুদ্রের শিরাতেই বইছে সবচেয়ে গরম রক্ত।" -- হোয়েলস উইপ নট
"আমি যদি চাঁদ হতুম, তবে কোথায় ঢলে পড়তে হয় তার খবর রাখতুম।" -- দ্য রেইনবো
"আমি এমন কোনো বন্য জীবের কথা জানি না, যে নিজের জন্য দুঃখ অনুভব করে। নিজের জন্য একটুও দুঃখ অনুভব না করে একটা ছোট্ট পাখি পর্যন্ত ঠাণ্ডায় জমে মরে নিচে পড়ে যায়।" -- "সেলফ-পিটি"
"যদি ক্ষমতা থাকত আমি স্ফটিক প্রাসাদের মতো বড় একটা মৃত্যুশালা নির্মাণ করতাম; যেখানে একটি সামরিক ব্যান্ড হালকা সঙ্গীত বাজাতো, আর উজ্জ্বলভাবে কাজ করত একটা সিনেম্যাটোগ্রাফ; তারপর সদর রাস্তা ও পিছনের রাস্তা ঘুরে যত অসুস্থ, যত স্থবির আর যত আহত সবাইকে নিয়ে এসে সেখানে জড়ো করতাম।"[9]
লরেন্সের সাহিত্যকর্মের তালিকা
নিচে সংস্করণ প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলা হল
দ্য কেমব্রিজ এডিশন অব দ্য লেটারস অ্যান্ড ওয়ার্কস অব ডি এইচ লরেন্স একটি প্রধান গবেষণামূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পের লক্ষ্য গ্রন্থগুলির এক নতুন পাঠ উপস্থাপনা করা যাতে লেখক এই পাঠগুলি যেরূপে মুদ্রণের ইচ্ছা করেছিলেন তার একটি রূপ পাঠকের সম্মুখে তুলে ধরা যায়। বর্তমান প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে। বর্তমানে লরেন্সের সকল সাহিত্যকর্ম ৪০টি পৃথক খণ্ডে সংকলিত হয়েছে। প্রতিটি খণ্ডই উচ্চমানের সমালোচনা সমৃদ্ধ। নিম্নোল্লিখিত গ্রন্থপঞ্জিটি এই প্রাতিষ্ঠানিক প্রামাণ্য সংস্করণের ভিত্তিতে প্রদত্ত হয়েছে।
সাধারণভাবে যেখানে কেমব্রিজ সিরিজে গ্রন্থটি পাওয়া যায়নি, সেখানে অন্য নির্ভরযোগ্য সূত্র অবলম্বন করা হয়েছে।
উপন্যাস
The White Peacock (1911), edited by Andrew Robertson, Cambridge University Press, 1983,
The Trespasser (1912), edited by Elizabeth Mansfield, Cambridge University Press,1981,
Sons and Lovers (1913), edited by Helen Baron and Carl Baron, Cambridge University Press, 1992,
The Rainbow (1915), edited by Mark Kinkead-Weekes, Cambridge University Press, 1989,
Women in Love (1920), edited by David Farmer, Lindeth Vasey and John Worthen, Cambridge University Press, 1987,
The Lost Girl (1920), edited by John Worthen, Cambridge University Press, 1981,
Aaron's Rod (1922) edited by Mara Kalnins, Cambridge University Press, 1988,
Kangaroo (1923) edited by Bruce Steele, Cambridge University Press, 1994,
The Boy in the Bush (1924), edited by Paul Eggert, Cambridge University Press, 1990,
The Plumed Serpent (1926), edited by L. D. Clark, Cambridge University Press, 1987,
Lady Chatterley's Lover (1928), edited by Michael Squires, Cambridge University Press, 1993,
The Escaped Cock (1929) (later re-published as The Man Who Died)
The Virgin and the Gypsy (1930)
ছোটোগল্প
The Odour of Chrysanthemums (1914)
The Prussian Officer and Other Stories (1914), edited by John Worthen, Cambridge University Press, 1983,
England, My England and Other Stories (1922), edited by Bruce Steele, Cambridge University Press, 1990,
The Horse Dealer's Daughter (1922)
The Fox, The Captain's Doll, The Ladybird (1923), edited by Dieter Mehl, Cambridge University Press, 1992,
St Mawr and other stories (1925), edited by Brian Finney, Cambridge University Press, 1983,
The Woman who Rode Away and other stories (1928) edited by Dieter Mehl and Christa Jansohn, Cambridge University Press, 1995, .
The Rocking-Horse Winner (1926)
The Virgin and the Gipsy and Other Stories (1930), edited by Michael Herbert, Bethan Jones, Lindeth Vasey, Cambridge University Press, 2006 (forthcoming),
Love Among the Haystacks and other stories (1930), edited by John Worthen, Cambridge University Press, 1987,
Collected Stories (1994) - Everyman's Library, a comprehensive one volume edition that prints all sixty two of Lawrence's shorter fictions in chronological sequence
কবিতা
Love Poems and others (1913)
Amores (1916)
Look! We have come through! (1917)
New Poems (1918)
Bay: a book of poems (1919)
Tortoises (1921)
Birds, Beasts and Flowers (1923)
The Collected Poems of D H Lawrence (1928)
Pansies (1929)
Nettles (1930)
Last Poems (1932)
Fire and other poems (1940)
The Complete Poems of D H Lawrence (1964), ed. Vivian de Sola Pinto and F. Warren Roberts
D. H. Lawrence: Selected Poems (1972), ed. Keith Sagar.
নাটক
The Widowing of Mrs Holroyd (1914)
last lesson of the afternoon
Touch and Go (1920)
David (1926)
The Fight for Barbara (1933)
A Collier's Friday Night (1934)
The Married Man (1940)
The Merry-go-round (1941)
The Complete Plays of D H Lawrence (1965)
The Plays, edited by Hans-Wilhelm Schwarze and John Worthen, Cambridge University Press, 1999,
গদ্যরচনা
Study of Thomas Hardy and other essays (1914), edited by Bruce Steele, Cambridge University Press, 1985, , Literary criticism and metaphysics
Movements in European History (1921), edited by Philip Crumpton, Cambridge University Press, 1989, , Originally published under the name of Lawrence H. Davison
Psychoanalysis and the Unconscious and Fantasia of the Unconscious (1921/1922), edited by Bruce Steele, Cambridge University Press, 2004
Studies in Classic American Literature (1923), edited by Ezra Greenspan, Lindeth Vasey and John Worthen, Cambridge University Press, 2003,
Reflections on the Death of a Porcupine and other essays (1925), edited by Michael Herbert, Cambridge University Press, 1988,
A Propos of Lady Chatterley's Lover(1929) - Lawrence wrote this pamphlet to explain his most notorious novel
Apocalypse and the writings on Revelation (1931) edited by Mara Kalnins, Cambridge University Press, 1980, , His last book touching on primitive symbolism, paganism and pre-Christian religion
Phoenix: the posthumous papers of D H Lawrence (1936)
Phoenix II: uncollected, unpublished and other prose works by D H Lawrence (1968)
Introductions and Reviews, edited by N. H. Reeve and John Worthen, Cambridge University Press, 2004,
Late Essays and Articles, edited by James T. Boulton, Cambridge University Press, 2004,
Selected Letters, Oneworld Classics, 2008. Edited by James T. Boulton.
ভ্রমণকাহিনি
Twilight in Italy and Other Essays (1916), edited by Paul Eggert, Cambridge University Press, 1994,
Sea and Sardinia (1921), edited by Mara Kalnins, Cambridge University Press, 1997,
Mornings in Mexico (1927)
Sketches of Etruscan Places and other Italian essays (1932), edited by Simonetta de Filippis, Cambridge University Press, 1992,
লরেন্স অনূদিত সাহিত্যকর্ম
Lev Isaakovich Shestov All Things are Possible (1920)
Ivan Alekseyevich Bunin The Gentleman from San Francisco (1922), tr. with S. S. Koteliansky
Giovanni Verga Mastro-Don Gesualdo (1923)
Giovanni Verga Little Novels of Sicily (1925)
Giovanni Verga Cavalleria Rusticana and other stories (1928)
Antonio Francesco Grazzini The Story of Doctor Manente (1929)
পাণ্ডুলিপি এবং প্রকাশিত উপন্যাস ও অন্যান্য রচনার আদি খসড়াসমূহ
লরেন্সের পাণ্ডুলিপির গবেষণামূলক পাঠ থেকে জানা যায় যে তিনি একজন সচেতন শিল্পী ছিলেন। মাঝে মাঝেই পুনর্লিখনের মাধ্যমে তিনি তাঁর সৃষ্টিকর্মে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করতেন। এই কাজ কখনও পুরো এক বছর ধরেও চলত। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে এই সকল রচনার আদি খসড়ার সঙ্গে প্রকাশিত পাঠের পার্থক্য প্রতিপাদন বেশ আগ্রহব্যঞ্জক:
Paul Morel (1911-12), edited by Helen Baron, Cambridge University Press, 2003, (সনস অ্যান্ড লাভার্স উপন্যাসের আদি পাণ্ডুলিপি পাঠ)
The First Women in Love (1916-17) edited by John Worthen and Lindeth Vasey, Cambridge University Press, 1998,
Mr Noon (1920?) - Parts I and II, edited by Lindeth Vasey, Cambridge University Press, 1984,
The Symbolic Meaning: The Uncollected Versions of Studies in Classic American Literature, edited by Armin Arnold, Centaur Press, 1962
Quetzalcoatl (1925), edited by Louis L Martz, W W Norton Edition, 1998, (দ্য প্লামড সারপেন্ট-এর আদিপাঠ)
The First and Second Lady Chatterley novels, edited by Dieter Mehl and Christa Jansohn, Cambridge University Press, 1999, (এই গ্রন্থটি লরেন্সের শেষ উপন্যাসের দ্য ফার্স্ট লেডি চ্যাটার্লি ও জন টমাস অ্যান্ড লেডি জেন নামাঙ্কিত আদি খসড়া)
পত্রাবলি
The Letters of D. H. Lawrence, Volume I, September 1901 - May 1913, ed. James T. Boulton, Cambridge University Press, 1979,
The Letters of D. H. Lawrence, Volume II, June 1913 - October 1916, ed. George J. Zytaruk and James T. Boulton, Cambridge University Press, 1981,
The Letters of D. H. Lawrence, Volume III, October 1916 - June 1921, ed. James T. Boulton and Andrew Robertson, Cambridge University Press, 1984,
The Letters of D. H. Lawrence, Volume IV, June 1921 - March 1924 , ed. Warren Roberts, James T. Boulton and Elizabeth Mansfield, Cambridge University Press, 1987,
The Letters of D. H. Lawrence, Volume V, March 1924 - March 1927, ed. James T. Boulton and Lindeth Vasey, Cambridge University Press, 1989,
The Letters of D. H. Lawrence, Volume VI, March 1927 - November 1928 , ed. James T. Boulton and Margaret Boulton with Gerald M. Lacy, Cambridge University Press, 1991,
The Letters of D. H. Lawrence, Volume VII, November 1928 - February 1930, ed. Keith Sagar and James T. Boulton, Cambridge University Press, 1993,
The Letters of D. H. Lawrence, with index, Volume VIII, ed. James T. Boulton, Cambridge University Press, 2001,
The Selected Letters of D H Lawrence, Compiled and edited by James T. Boulton, Cambridge University Press, 1997,
চিত্রকলা
The Paintings of D. H. Lawrence,London: Mandrake Press, 1929.
D. H. Lawrence's Paintings, ed. Keith Sagar, London: Chaucer Press, 2003.
The Collected Art Works of D. H. Lawrence, ed. Tetsuji Kohno, Tokyo: Sogensha,2004.
লরেন্স বিষয়ক রচনাসমূহ
গ্রন্থপঞ্জি সংক্রান্ত উপাদানসমূহ
Paul Poplawski (1995) The Works of D H Lawrence: a Chronological Checklist (Nottingham, D H Lawrence Society)
Paul Poplawski (1996) D. H. Lawrence: A Reference Companion (Westport, Conn., and London: Greenwood Press)
P. Preston (1994) A D H Lawrence Chronology (London, Macmillan)
W. Roberts and P. Poplawski (2001)A Bibliography of D H Lawrence. 3rd ed. (Cambridge, Cambridge University Press)
Charles L Ross and Dennis Jackson, eds. (1995) Editing D H Lawrence: New Versions of a Modern Author (Ann Arbor, Michigan: University of Michigan Press)
Keith Sagar (1979) D H Lawrence: a Calendar of his Works (Manchester, Manchester University Press)
Keith Sagar (1982) D H Lawrence Handbook (Manchester, Manchester University Press)
গ্রন্থপঞ্জি সংক্রান্ত গবেষণাকর্ম
Catherine Carswell (1932) The Savage Pilgrimage (Cambridge: Cambridge University Press, reissued 1981)
Frieda Lawrence (1934) Not I, But The Wind (Santa Fe: Rydal Press)
E. T. (Jessie Chambers Wood) (1935) D. H. Lawrence: A Personal Record (Jonathan Cape)
Edward Nehls (1957-59) D. H. Lawrence: A Composite Biography, Volumes I-III (Madison: University of Wisconsin Press)
Emile Delavenay (1972) D. H. Lawrence: The Man and his Work: The Formative Years, 1885-1919, trans. Katherine M. Delavenay (London: Heinemann)
Harry T. Moore (1974) The Priest of Love: A Life of D. H. Lawrence (Heinemann)
Paul Delany (1979) D. H. Lawrence's Nightmare: The Writer and his Circle in the Years of the Great War (Hassocks: Harvester Press)
G H Neville (1981) A Memoir of D. H. Lawrence: The Betrayal (Cambridge: Cambridge University Press)
John Worthen (1991) D. H. Lawrence: The Early Years, 1885 - 1912 (Cambridge: Cambridge University Press)
Mark Kincaid-Weekes (1996) D. H. Lawrence: Triumph to Exile, 1912 - 1922 (Cambridge: Cambridge University Press)
Brenda Maddox (1994) D. H. Lawrence: The Story of a Marriage (W. W. Norton & Co)
David Ellis (1998) D. H. Lawrence: Dying Game, 1922 - 1930 (Cambridge: Cambridge University Press)
Keith Sagar (2003) The Life of D. H. Lawrence: An Illustrated Biography (London: Chaucer Press)
John Worthen (2005) D. H. Lawrence: The Life of an Outsider (London: Penguin/Allen Lane)
Scandalous! the musical based on the life of D. H. Lawrence. Created by Glyn Bailey, Keith Thomas and Theasa Tuohy. Website
নাট্যকলা
লুক ইউ হ্যাভ কাম থ্রু – ডি এইচ লরেন্স ও তাঁর স্ত্রী ফ্রেডার চিঠিপত্র ও রচনাভিত্তিক নাটক। নাট্যকার: জেমস পেটোসা ও ক্যারোল গ্রাহাম লেহান। ১৯৯৮ সালে হেলেন হায়েস অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত।[10]
সংগীতালেখ্য
স্ক্যান্ডালাস! ডি এইচ লরেন্সের জীবনভিত্তিক এক সংগীতালেখ্য। স্রষ্টা: গ্লিন বেইলি, কেইথ টমাস ও থিসা টৌহি। ওয়েবসাইট:
সাহিত্য সমালোচনা
Michael Bell (1992) D. H. Lawrence: Language and Being (Cambridge: Cambridge University Press)
Richard Beynon, (ed.) (1997) D. H. Lawrence: The Rainbow and Women in Love (Cambridge: Icon Books)
Michael Black (1986) D H Lawrence: The Early Fiction (Palgrave MacMillan)
Michael Black (1991) D. H. Lawrence: The Early Philosophical Works: A Commentary (London and Basingstoke: Macmillan)
Michael Black (1992) Sons and Lovers (Cambridge University Press)
Michael Black (2001) Lawrence's England: The Major Fiction, 1913 - 1920 (Palgrave-MacMillan)
Keith Brown, ed. (1990) Rethinking Lawrence, Milton Keynes: Open University Press
Anthony Burgess (1985) Flame Into Being: The Life And Work Of D. H. Lawrence (William Heinemann)
Aidan Burns (1980) Nature and Culture in D. H. Lawrence (London and Basingstoke: Macmillan)
L D Clark (1980) The Minoan Distance: The Symbolism of Travel in D H Lawrence, University of Arizona Press
Colin Clarke (1969) River of Dissolution: D. H. Lawrence and English Romanticism (London: Routledge and Kegan Paul)
Joseph Davis (1989) "D.H. Lawrence at Thirroul (Collins, Sydney, Australia)
Carol Dix (1980) D H Lawrence and Women, Macmillan
R P Draper (1970) D H Lawrence: The Critical Heritage, London: Routledge and Kegan Paul
Anne Fernihough (1993) D. H. Lawrence: Aesthetics and Ideology (Oxford:Clarendon Press)
Anne Fernihough, ed. (2001) The Cambridge Companion to D H Lawrence (Cambridge, Cambridge University Press)
Graham Holderness (1982) D. H. Lawrence: History, Ideology and Fiction (Dublin: Gill and Macmillan)
John R. Harrison (1966) The Reactionaries: Yeats, Lewis, Pound, Eliot, Lawrence: A Study of the Anti-Democratic Intelligentsia (Victor Gollancz, London)
Graham Hough (1956) The Dark Sun: A Study of D H Lawrence, Duckworth
John Humma (1990) Metaphor and Meaning in D. H. Lawrence's Later Novels, University of Missouri Press
Frank Kermode (1973) Lawrence (London: Fontana)
Mark Kinkead - Weekes (1968) The Marble and the Statue: The Exploratory Imagination of D. H. Lawrence, pp.371–418. in Gregor, lan and Maynard Mack (eds.), Imagined Worlds: Essays in Honour of John Butt (London: Methuen,)
F. R. Leavis (1955) D H Lawrence: Novelist (London, Chatto and Windus)
F. R. Leavis (1976) Thought, Words and Creativity: Art and Thought in D H Lawrence (London, Chatto and Windus)
Sheila Macleod (1985) Lawrence's Men and Women (London: Heinemann)
Barbara Mensch (1991) D. H. Lawrence and the Authoritarian Personality (London and Basingstoke: Macmillan)
Kate Millett (1970) Sexual Politics (Garden City, NY: Doubleday)
Colin Milton (1987) Lawrence and Nietzsche: A Study in Influence (Aberdeen: Aberdeen University Press)
Robert E Montgomery (1994) The Visionary D. H. Lawrence: Beyond Philosophy and Art (Cambridge: Cambridge University Press)
Alastair Niven (1978) D. H. Lawrence: The Novels (Cambridge: Cambridge University Press)
Cornelia Nixon (1986) Lawrence's Leadership Politics and the Turn Against Women (Berkeley: University of California Press)
Tony Pinkney (1990) D. H. Lawrence (London and New York: Harvester Wheatsheaf)
Charles L. Ross (1991) Women in Love: A Novel of Mythic Realism (Boston, Mass.: Twayne)
Keith Sagar (1966) The Art of D H Lawrence (Cambridge: Cambridge University Press)
Keith Sagar (1985) D H Lawrence: Life into Art (University of Georgia Press)
Keith Sagar (2008) D. H. Lawrence: Poet (Penrith: Humanities-Ebooks)
Daniel J. Schneider (1986) The Consciousness of D. H. Lawrence: An Intellectual Biography (Lawrence, Kan.: University Press of Kansas)
Michael Squires and Keith Cushman (1990) The Challenge of D. H. Lawrence (Madison, Wisconsin: University of Wisconsin Press)
Peter Widdowson , ed. (1992) D. H. Lawrence (London and New York: Longman)
John Worthen (1979) D. H. Lawrence and the Idea of the Novel (London and Basingstoke, Macmillan).
T R Wright (2000) D H Lawrence and the Bible (Cambridge, Cambridge University Press)
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
জীবনী
রচনাবলি
at Project Gutenberg
at
, from
Benjamin Kunkel in The New Yorker
at the at The University of Texas at Austin
সমালোচনা
by Joyce Carol Oates (1974)
by Joyce Carol Oates (1978)
by Juliette Feyel
by Keith Sagar.
অন্যান্য
Review of Michael Black's Lawrence's England: Thomas L. Jeffers, “Lawrence’s Major Phase,” Yale Review 90 (Summer 2002), 148-58.
Review of John Worthen's biography of D. H. Lawrence,
"Mythic Patterns in 'The Plumed Serpent'"
"Memoirs of the Foreign Legion"
বিষয়শ্রেণী:ডেভিড হারবার্ট লরেন্স
বিষয়শ্রেণী:১৮৮৫-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৩০-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ঔপন্যাসিক
বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ছোটোগল্পকার
বিষয়শ্রেণী:চিত্রকল্পবাদী
বিষয়শ্রেণী:নটিংহ্যামশায়ারের ব্যক্তিত্ব
বিষয়শ্রেণী:উভকামী লেখক
বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের সমকামী-উভকামী-রূপান্তরকামী ব্যক্তিত্ব
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1%20%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%20%E0%A6%B2%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8 |
{
"plaintext_start_byte": [
58,
1711,
5019
],
"plaintext_end_byte": [
1709,
5017,
5116
]
} | మొఘల్ సామ్రాజ్య స్థాపకుడు ఎవరు ? | మౌర్య సామ్రాజ్యం | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
మౌర్య సామ్రాజ్యం
The Maurya Empire at its largest extent under Ashoka the Great.Imperial Symbol:
The Lion Capital of AshokaFounderచంద్రగుప్త మౌర్యPreceding State (s)Nanda Dynasty of మగధ
మహాజానపదాలుLanguagesపాలి
ప్రాకృతం
సంస్కృత భాషమతములుబౌద్ధ మతము
హిందూ మతము
జైన మతముCapitalపాటలీపుత్ర
Head of Stateసమ్రాట్ (చక్రవర్తి)First Emperorచంద్రగుప్త మౌర్యLast Emperorబృహద్రథGovernmentCentralized Absolute Monarchy with Divine Right of Kings as described in the ArthashastraDivisions4 provinces:
Tosali
Ujjain
Suvarnagiri
Taxila
Semi-independent tribesAdministrationInner Council of Ministers (Mantriparishad) under a Mahamantri with a larger assembly of ministers (Mantrinomantriparisadamca).
Extensive network of officials from treasurers (Sannidhatas) to collectors (Samahartas) and clerks (Karmikas).
Provincial administration under regional viceroys (Kumara or Aryaputra) with their own Mantriparishads and supervisory officials (Mahamattas).
Provinces divided into districts run by lower officials and similar stratification down to individual villages run by headmen and supervised by Imperial officials (Gopas).Area5 million km² [1] (Southern Asia and parts of Central Asia)Population50 million [2] (one third of the world population [3])CurrencySilver Ingots (Panas)Existed322–185 BCEDissolutionMilitary coup by Pusyamitra SungaSucceeding stateSunga Empire
మౌర్య సామ్రాజ్యం (క్రీ.పూ 321– 187 ) మౌర్య వంశం చే పరిపాలించబడిన ఒక ప్రాచీన భారతీయ రాజ్యం. ఇది చాలా బలమైన మరియు విశాలమైన సామ్రాజ్యంగా విలసిల్లిన రాజ్యం.
మౌర్య సామ్రాజ్య స్థాపకుడు చంద్రగుప్త మౌర్యుడు. చంద్రగుప్త మౌర్య మహాపద్మనంద మనవడు,చంద్రగుప్త మౌర్య నంద రాజులకి,అడవి జాతికి చేందిన "ముర" అనే స్త్రీకి జన్మించినట్టు చరిత్ర ఆధారాలు ఉన్నాయి.చంద్ర గుప్తుని తల్లి పేరు "ముర" అనగా అడవిలో నెమల్లని సమ్రక్షించే జాతికి చేందినావిడ, ఈ విదముగా తల్లి పేరును మౌర్యగా మర్చుకోని తన రాజ్యమును పాలించాడు .నంద వంశస్థుల వలన అవమానము పొందిన చాణక్యుడు,ఎలాగైన నంద రాజ్యం నాశనము చెయలనే ఆశయముతో చంద్రగుప్తుడిని రేచ్చకోట్టి తన చేతితోనే తన వంశస్తులని చంపెలాగా చేశాడాని చరిత్ర ఆదారలు చెప్తున్నాయి, విశకదత్తుడు రచించిన 4వ శతబ్దము- "ముద్రరక్షస" అనే గ్రంథములో క్లుప్తముగా వివరంచారు చంద్రగుప్త మౌర్య నంద వంశస్తుల కుమారుడు అని.దీనితో బలం పుంజుకున్న చంద్రగుప్తుడు క్రీ.పూ. 322 లో నంద వంశ పరిపాలనకు తెర దించి తానే ఒక మహా సామ్రాజ్యం స్థాపించాడు. అలెగ్జాండర్ నాయకత్వంలోని గ్రీకుల దండయాత్ర నమయమున స్థానిక రాజ్యల మధ్య ఉన్న మనస్పర్థలని ఉపయోగంచుకుని తన సామ్రాజ్య సరిహద్దులని అమితంగా పెంచాడు. క్రీ.పూ. 316 నాటికి దాదాపు ఉత్తర భారతం అంతా ఇతని ఆధీనంలో ఉంది. అలెగ్జాండర్ సేనాని పశ్చిమ ఆసియా ప్రాంతాలని పరిపాలించిన సెల్యూకస్ నికేటర్ని ఓడించి తన అధికారాన్ని సుస్థిరం చేసుకున్నాడు.
వర్గం:మౌర్య సామ్రాజ్యం
వర్గం:చరిత్ర
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%AE%E0%B1%8C%E0%B0%B0%E0%B1%8D%E0%B0%AF%20%E0%B0%B8%E0%B0%BE%E0%B0%AE%E0%B1%8D%E0%B0%B0%E0%B0%BE%E0%B0%9C%E0%B1%8D%E0%B0%AF%E0%B0%82 |
{
"plaintext_start_byte": [
4,
1361,
2703,
4926,
5551,
6165,
6949,
7335,
11295,
12058,
12523,
12653,
13005,
14611,
16459,
16972,
17884,
18862,
19505,
19876,
20874,
21863,
22045,
22611,
24119,
25394,
26139,
28119,
28831,
29749,
30290,
31487,
33212,
35437,
43607,
47370,
47668,
48115,
48685,
51059,
51636,
52171,
52917,
55047,
55288,
55524,
55803
],
"plaintext_end_byte": [
1344,
2702,
4885,
5527,
6164,
6948,
7294,
11294,
12034,
12522,
12652,
12970,
14610,
16458,
16937,
17883,
18861,
19504,
19875,
20842,
21857,
22044,
22610,
24118,
25393,
26138,
28118,
28830,
29748,
30289,
31486,
33211,
35406,
43561,
47369,
47667,
48113,
48684,
51058,
51621,
52157,
52882,
55029,
55193,
55498,
55801,
56218
]
} | Какая площадь падения Тунгу́сского метеорита? | Тунгусский метеорит | russian | {
"passage_answer_candidate_index": [
9
],
"minimal_answers_start_byte": [
12188
],
"minimal_answers_end_byte": [
12335
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Тунгу́сский метеорит или Тунгу́сский метеороид (Тунгусский феномен; употребляется также сокращение ТКТ — Тунгусское космическое тело) — гипотетическое тело, предположительно кометного происхождения, или часть разрушившегося космического тела, которое, вероятно, послужило причиной воздушного взрыва, произошедшего в районе реки Подкаменная Тунгуска (примерно 60 км к северу и 20 км к западу от села Ванавара)
30[O.S. 1908 год]июняа в 7 часов 14,5 ± 0,8 минут по местному времени (0 ч 14,5 мин по Гринвичу). Мощность взрыва оценивается в 40—50 мегатонн, что соответствует энергии самой мощной из взорванных водородных бомб. По другим оценкам, мощность взрыва соответствует 10—15 мегатоннам[1]. Координаты эпицентра взрыва: 60°54"07’с. ш., 101°55"40’в. д.
История
Около семи часов утра над территорией бассейна Енисея с юго-востока на северо-запад пролетел большой огненный шар[2]. Полёт закончился взрывом на высоте 7—10 км над незаселённым районом тайги. Ударная волна была зафиксирована обсерваториями по всему миру, в том числе в Западном полушарии. В результате взрыва были повалены деревья на территории более 2000 км²[3], оконные стёкла в домах были выбиты в нескольких сотнях километров от эпицентра взрыва. В течение нескольких дней на территории от Атлантики до центральной Сибири наблюдалось интенсивное свечение неба и светящиеся облака. Вокруг места падения лес был повален веером от центра, причём в самом центре падения часть деревьев осталась стоять на корню, лишённая ветвей и коры.
В район катастрофы были направлены несколько исследовательских экспедиций, начиная с экспедиции 1927 года под руководством Л. А. Кулика. Вещество гипотетического Тунгусского метеорита не было найдено в сколь-нибудь значительном количестве; однако были обнаружены микроскопические силикатные и магнетитовые шарики, а также повышенное содержание некоторых элементов, указывающее на возможное космическое происхождение вещества.
В 2013 году в журнале Planetary and Space Science были опубликованы результаты исследования, проведённого группой украинских, немецких и американских учёных, в котором сообщалось, что в микроскопических образцах, обнаруженных Николаем Ковалыхом в 1978 году в районе Подкаменной Тунгуски, выявлено наличие лонсдейлита, троилита, таенита и шейберсита — минералов, характерных для алмазосодержащих метеоритов. В то же время сотрудник австралийского Университета Кертин Фил Бленд обратил внимание, что в исследованных образцах отмечается подозрительно низкая концентрация иридия (что нехарактерно для метеоритов), а также, что торф, где были найдены образцы, не был датирован 1908 годом, а значит, найденные камни могли попасть на Землю раньше или позже знаменитого взрыва[4][5].
Координаты эпицентра
Установлено, что взрыв произошёл в воздухе на некоторой высоте (по разным оценкам, 5—15 км) и вряд ли был точечным, поэтому можно говорить лишь о проекции координат особой точки, называемой эпицентром. Разные методы определения географических координат этой особой точки («эпицентра») взрыва дают несколько различные результаты
Ход событий
Отмечается, что ещё за три дня до события, начиная с 27 июня 1908 года, в Европе, европейской части России и Западной Сибири стали наблюдаться необычные атмосферные явления: серебристые облака, яркие сумерки, солнечные гало[6]. Британский астроном Уильям Деннинг писал, что ночью 30 июня небо над Бристолем было аномально светлым на севере[7].
Утром 30 июня 1908 года над центральной Сибирью пролетело огненное тело, двигавшееся в северном направлении; его полёт наблюдался во многих поселениях в той местности, были слышны громоподобные звуки. Форма тела описывается как круглая, сферическая или цилиндрическая; цвет — как красный, жёлтый или белый; дымовой след отсутствовал, однако описания некоторых очевидцев включают простирающиеся за телом яркие радужные полосы[8].
В 7 часов 14 минут по местному времени над Южным болотом близ реки Подкаменной Тунгуски тело взорвалось; сила взрыва, по некоторым оценкам, достигала 40—50 мегатонн тротилового эквивалента[9].
Наблюдения очевидцев
Одним из самых известных свидетельств очевидцев является сообщение Семёна Семёнова, жителя фактории Ванавара, находившейся в 70 км на юго-востоке от эпицентра взрыва:
… вдруг на севере небо раздвоилось, и в нём широко и высоко над лесом появился огонь, который охватил всю северную часть неба. В этот момент мне стало так горячо, словно на мне загорелась рубашка. Я хотел разорвать и сбросить с себя рубашку, но небо захлопнулось, и раздался сильный удар. Меня сбросило с крыльца сажени на три. После удара пошёл такой стук, словно с неба падали камни или стреляли из пушек, земля дрожала, и когда я лежал на земле, то прижимал голову, опасаясь, чтобы камни не проломили голову. В тот момент, когда раскрылось небо, с севера пронёсся горячий ветер, как из пушки, который оставил на земле следы в виде дорожек. Потом оказалось, что многие стёкла в окнах выбиты, а у амбара переломило железную закладку для замка двери
Ещё ближе к эпицентру, в 30 км от него на юго-восток, на берегу реки Аваркитты, находился чум братьев-эвенков Чучанчи и Чекарена Шанягирь[10][11]:
Наш чум тогда стоял на берегу Аваркитты. Перед восходом солнца мы с Чекареном пришли с речки Дилюшма, там мы гостевали у Ивана и Акулины. Мы крепко уснули. Вдруг проснулись сразу оба — кто-то нас толкал. Услышали мы свист и почуяли сильный ветер. Чекарен ещё крикнул мне: «Слышишь, как много гоголей летает или крохалей?». Мы были ведь ещё в чуме и нам не видно было, что делается в лесу. Вдруг меня кто-то опять толкнул, да так сильно, что я ударился головой о чумовый шест и упал потом на горячие угли в очаге. Я испугался. Чекарен тоже испугался, схватился за шест. Мы стали кричать отца, мать, брата, но никто не отвечал. За чумом был какой-то шум, слышно было, как лесины падали. Вылезли мы с Чекареном из мешков и уже хотели выскочить из чума, но вдруг очень сильно ударил гром. Это был первый удар. Земля стала дёргаться и качаться, сильный ветер ударил в наш чум и повалил его. Меня крепко придавило шестами, но голова моя не была покрыта, потому что эллюн задрался. Тут я увидел страшное диво: лесины падают, хвоя на них горит, сушняк на земле горит, мох олений горит. Дым кругом, глазам больно, жарко, очень жарко, сгореть можно.
Вдруг над горой, где уже упал лес, стало сильно светло, и, как бы тебе сказать, будто второе солнце появилось, русские сказали бы: «вдруг неожиданно блеснуло», глазам больно стало, и я даже закрыл их. Похоже было на то, что русские называют «молния». И сразу же был агдыллян, сильный гром. Это был второй удар. Утро было солнечное, туч не было, наше солнце светило ярко, как всегда, а тут появилось второе солнце!
Последствия
Взрыв на Тунгуске был слышен за 800 км от эпицентра, взрывной волной был повален лес на площади 2000 км², в радиусе 200 км были выбиты стёкла некоторых домов; сейсмическая волна зарегистрирована сейсмическими станциями в Иркутске, Ташкенте, Тбилиси и Йене[12].
Вскоре после взрыва началась магнитная буря, продолжавшаяся 5 часов[12].
Необычные атмосферные световые эффекты, предшествовавшие взрыву, достигли максимума 1 июля, после чего пошли на спад (отдельные их следы сохранялись вплоть до конца июля)[12].
Первые публикации
Первое сообщение о событии, произошедшем близ Тунгуски, было опубликовано в газете «Сибирская жизнь» от 30 июня (12 июля) 1908 года[12][13]:
Около 8 часов утра в нескольких саженях от полотна железной дороги, близ разъезда Филимоново, не доезжая 11 верст до Канска, по рассказам, упал огромный метеорит… Пассажиры подходившего во время падения метеорита к разъезду поезда были поражены необычайнейшим гулом; поезд был остановлен машинистом, и публика хлынула к месту падения далёкого странника. Но осмотреть ей метеорит ближе не удалось, так как он был раскалён… метеорит почти весь врезался в землю — торчит лишь его верхушка…
Явно видно, что содержание данной заметки крайне далеко от произошедшего в действительности, однако это сообщение вошло в историю, поскольку именно оно побудило Л. А. Кулика отправиться на поиски метеорита, который тогда он ещё считал «Филимоновским»[12].
В газете «Сибирь» от 2 (15) июля 1908 года приводилось более соответствующее действительности описание (автор С. Кулеш)[14][15]:
17-го июня утром, в начале 9-го часа, у нас наблюдалось какое-то необычное явление природы. В селении Н.-Карелинском (верст 200 от Киренска к северу) крестьяне увидали на северо-западе, довольно высоко над горизонтом, какое-то чрезвычайно сильно (нельзя было смотреть) светящееся белым, голубоватым светом тело, двигавшееся в течение 10 минут сверху вниз. Тело представлялось в виде «трубы», то есть цилиндрическим. Небо было безоблачно, только невысоко над горизонтом, в той же стороне, в которой наблюдалось светящееся тело, было заметно маленькое тёмное облачко. Было жарко, сухо. Приблизившись к земле (лесу), блестящее тело как бы расплылось, на месте же его образовался громадный клуб чёрного дыма и послышался чрезвычайно сильный стук (не гром), как бы от больших падавших камней или пушечной пальбы. Все постройки дрожали. В то же время из облачка стало вырываться пламя неопределённой формы.
Все жители селения в паническом страхе сбежались на улицы, бабы плакали, все думали, что приходит конец мира.
Однако широкого интереса к падению внеземного тела никто в тот период не проявил. Научное исследование тунгусского феномена началось лишь в 1920-х годах.
Экспедиции Кулика
В 1921 году, при поддержке академиков В. И. Вернадского и А. Е. Ферсмана, учёными-минералогами Л. А. Куликом и П. Л. Дравертом была организована первая советская экспедиция по проверке поступающих сообщений о падении метеоритов на территории страны. Леонид Алексеевич Кулик проявлял особый интерес к изучению места и обстоятельствам падения Тунгусского метеорита. В 1927—1939 годах он организовал и возглавил шесть экспедиций (по другим данным — четыре экспедиции) на место падения этого метеорита.
Результатами экспедиции в центральную Сибирь в 1921 году, имеющими отношение к Тунгусскому метеориту, были лишь собранные ею новые свидетельства очевидцев, позволявшие более точно определить место события, куда отправилась экспедиция 1927 года. Ею были сделаны уже более существенные находки: так, было обнаружено, что в месте предполагаемого падения метеорита повален лес на значительной площади, причём в месте, которое должно было быть эпицентром взрыва, лес остался стоять, а какие-либо следы метеоритного кратера отсутствовали[15].
Несмотря на отсутствие кратера, Кулик оставался сторонником гипотезы о метеоритной природе явления (хотя он и был вынужден оставить идею о падении цельного метеорита значительной массы в пользу представления о его возможном разрушении при падении). Им были обнаружены термокарстовые ямы, которые он ошибочно принял за мелкие метеоритные кратеры[15].
В ходе своих экспедиций Кулик пытался найти остатки метеорита, организовал аэрофотосъёмку места падения (в 1938 году, на площади 250 км²), собрал информацию о падении метеорита у свидетелей происшествия[16].
Готовящаяся Л. А. Куликом новая экспедиция к месту падения Тунгусского метеорита в 1941 году не состоялась из-за начала Великой Отечественной войны: 58-летний Кулик был зачислен в народное ополчение, отправлен на фронт, ранен, попал в плен и впоследствии скончался от сыпного тифа. Итоги работы по изучению Тунгусского метеорита в 1949 году подвёл его ученик и участник экспедиций на Тунгуску Е. Л. Кринов в книге «Тунгусский метеорит» (в 1952 году за свои труды в области метеоритики он был удостоен Сталинской премии второй степени).
Природа явления
До настоящего времени ни одна из гипотез, объясняющих все существенные особенности явления, так и не стала общепринятой[прим. 1]. При этом предлагаемые объяснения весьма многочисленны и разнообразны[прим. 2]. Так, сотрудник Комитета по метеоритам АН СССР И. Зоткин опубликовал в 1970 году в журнале «Природа» статью «Руководство в помощь составителям гипотез, связанных с падением Тунгусского метеорита», где описал семьдесят семь гипотез о его падении, известных на 1 января 1969 года. При этом он классифицировал гипотезы по следующим типам:
техногенные,
связанные с антивеществом,
геофизические,
метеоритные,
синтетические,
религиозные.
Первоначальное объяснение явления — падение метеорита значительной массы (предположительно, железного), либо роя метеоритов — достаточно быстро начало вызывать сомнения у специалистов ввиду того, что остатков метеорита так и не удалось найти, несмотря на предпринятые значительные усилия по их поиску[15].
В начале 1930-х годов британский астроном и метеоролог Фрэнсис Уиппл высказал предположение, что тунгусские события были связаны с падением на Землю ядра кометы (или осколка такового)[17]. Схожую гипотезу предложил геохимик Владимир Вернадский, который предположил, что тунгусское тело было относительно рыхлым сгустком космической пыли[18]. Это объяснение потом было принято довольно большим числом астрономов. Расчёты показали, что для объяснения наблюдаемых разрушений небесное тело должно было иметь массу порядка 5 млн тонн. Кометное вещество представляет собой очень неплотную структуру, состоящую преимущественно изо льда; и практически полностью рассыпалось и сгорело при входе в атмосферу. Высказывались предположения, что Тунгусский метеорит принадлежит к метеорному потоку β-Таурид, связанному с кометой Энке.
Предпринимались и попытки доработать метеоритную гипотезу. Ряд астрономов указывает, что комета должна была бы разрушиться высоко в атмосфере, поэтому в качестве Тунгусского метеороида мог выступать только каменный астероид. По их мнению, его вещество распылилось в воздухе и было унесено ветром. В частности, Г. И. Петров, рассмотрев проблему торможения тел в атмосфере с низкой массовой плотностью, выявил новую, взрывную, форму входа в атмосферу космического объекта, не дающую, в отличие от случая обычных метеоритов, видимых следов распавшегося тела. Астроном Игорь Астапович предположил, что Тунгусский феномен можно объяснить рикошетом крупного метеорита от плотных слоёв атмосферы[18].
В 1945 году советский писатель-фантаст Александр Казанцев, основываясь на сходстве свидетельств очевидцев тунгусских событий и взрыва атомной бомбы в Хиросиме, предположил, что имеющиеся данные свидетельствуют не о естественной, а об искусственной природе события: он предположил, что «Тунгусский метеорит» являлся космическим кораблём внеземной цивилизации, потерпевшим катастрофу в сибирской тайге[18].
Естественной реакцией научного сообщества стало полное отторжение подобной гипотезы. В 1951 году в журнале «Наука и жизнь» была опубликована статья, посвящённая разбору и разгрому предположения Казанцева, авторами которой были виднейшие астрономы и специалисты по метеоритике[19]. В статье утверждалось, что именно метеоритная гипотеза и только она является верной, и что кратер от падения метеорита вскоре будет обнаружен:
В настоящее время наиболее правдоподобным местом падения (взрыва) метеорита считают упоминавшуюся выше южную часть впадины, так называемое «Южное болото». На это болото направлены и корни поваленных деревьев, которые показывают, что отсюда распространялась взрывная волна. Несомненно, что в первый момент после падения метеорита на месте «Южного болота» образовалось кратерообразное углубление. Вполне возможно, что образовавшийся после взрыва кратер был относительно невелик и вскоре, вероятно даже в первое лето, был затоплен водой. В последующие годы он затянулся илом, покрылся слоем мха, заполнился торфяными кочками и частью зарос кустарниками.
Однако первая послевоенная научная экспедиция к месту событий, организованная в 1958 году Комитетом по метеоритам АН СССР, опровергла предположение о наличии где бы то ни было вблизи места события метеоритного кратера. Учёные пришли к выводу, что тунгусское тело должно было так или иначе взорваться в атмосфере, что исключало возможность того, что оно являлось обыкновенным метеоритом[18].
В 1958 году Геннадием Плехановым и Николаем Васильевым была создана «Комплексная самодеятельная экспедиция по изучению Тунгусского метеорита», которая позже стала ядром Комиссии по метеоритам и космической пыли Сибирского отделения АН СССР[20]. Основной целью данной организации было разрешение вопроса о естественной или искусственной природе тунгусского тела[21]. Данной организации удалось привлечь к исследованию тунгусского феномена значительное число специалистов со всего Советского Союза.
В 1959 году Алексей Золотов установил, что вывал леса на Тунгуске был вызван не баллистической ударной волной, связанной с движением некоего тела в атмосфере, а именно взрывом[21]. На месте событий были также обнаружены следы радиоактивных веществ, однако их количество оказалось незначительным[22].
В целом, несмотря на довольно фантастический характер гипотезы об искусственном происхождении тунгусского тела, начиная с 1950-х годов, она пользовалась довольно серьёзной поддержкой в научном сообществе; на попытки её подтвердить или опровергнуть выделялись сравнительно большие средства. О том, что эта гипотеза рассматривалась вполне серьёзно, можно судить уже хотя бы по тому, что её сторонники смогли вызвать в научном сообществе достаточные сомнения, когда в начале 1960-х годов обсуждался вопрос о присуждении Ленинской премии К. П. Флоренскому за гипотезу о кометной природе Тунгусского метеорита[23], — премия в итоге так и не была присуждена[22].
По мнению специалистов NASA, высказанному в июне 2009 года[24], Тунгусский метеорит состоял изо льда, а его прохождение через плотные слои атмосферы привело к выделению молекул воды и микрочастичек льда, которые образовали в верхних слоях атмосферы серебристые облака — редкое атмосферное явление, наблюдавшееся сутки спустя после падения на Землю Тунгусского метеорита над Британией английскими метеорологами[25]. Того же мнения придерживаются и российские исследователи воздушного пространства из Института физики атмосферы РАН[26]. Гипотеза о ледяной природе метеорита высказывалась давно и была достаточно достоверно подтверждена численными расчётами Д. В. Руденко и С. В. Утюжникова в 1999 г.[27]. Там же было показано, что вещество метеорита (он не мог состоять из чистого льда) не достигало поверхности Земли и было распределено в атмосфере. Эти же авторы объяснили наличие двух последовательных ударных волн, которые слышали наблюдатели.
По мнению академика Российской академии космонавтики им. К. Э. Циолковского Ивана Никитьевича Мурзинова[28], высказанному в интервью корреспонденту «Новой газеты» 8 июня 2016 года, Тунгусский метеорит представлял собой чрезвычайно массивный каменный метеороид астероидного происхождения, который вошёл в атмосферу Земли по очень пологой траектории, которая на высоте 100 км составляла угол около 7 — 9 градусов с поверхностью, и имел скорость около 20 километров в секунду. После пролёта в атмосфере Земли порядка 1000 км космическое тело разрушилось из-за высокого давления и температуры и взорвалось на высоте 30 — 40 километров. Тепловым излучением взрыва был подожжен лес, а ударная волна взрыва вызвала сплошной лесоповал в пятне диаметром около 60 километров, а также вызвала землетрясение магнитудой до 5 баллов. При этом мелкие осколки Тунгусского метеорита с размерами до 0,2 метра сгорели или испарились во время взрыва, а более крупные осколки могли продолжить полёт по пологой траектории и упасть за сотни и тысячи километров от эпицентра взрыва, в числе прочего наиболее крупные фрагменты метеороида могли достичь Атлантического океана и даже, отразившись от атмосферы Земли, уйти в космос.
Другие гипотезы
Владимир Епифанов и Вольфганг Кундт предположили, что тунгусское событие могло быть вызвано взрывом облака метана, выделившегося в результате вулканической активности[29] (нечто подобное, но в гораздо меньших масштабах произошло в 1994 году возле деревни Кандо в Испании). Гипотеза выброса газа не объясняет наблюдение болида и плохо согласуется с отсутствием в эпицентре каналов выброса газа. Следует отметить, что существовали и другие «газовые» гипотезы, объясняющие «полёт болида» движением фронта пламени по шлейфу природного газа, относимого слабым ветром от места истечения.
Гипотезу индуцированного землетрясения предложили А. Д. Белкин и С. М. Кузнецов. Один из фрагментов Тунгусского метеорита («») упал на гору Стойковича (в зону разлома) и вызвал землетрясение. Возникшая в слое вечной мерзлоты поверхностная сейсмическая волна Рэлея повалила деревья в зоне падения метеорита. Также в зоне Тунгусской катастрофы найдены геологами и отмечены на геологических картах 5 групп оплавленных гравелито-песчаников, и когда А. Д. Белкин нанёс на карту места их расположения, то все они (вместе с камнем Джона) легли на одну линию, точно совпавшую с траекторией падения Тунгусского метеорита. Таким образом имеются реальные фрагменты Тунгусского метеорита и объяснён механизм вывала леса в зоне его падения. Помешала найти осколки Тунгусского метеорита основная парадигма метеоритчиков — что фрагменты земных пород не могут быть метеоритами. Был сделан повторный петрологический анализ фрагмента камня Джона и установлено, что данный оплавленный гравелитопесчаник дважды испытывал сверхвысокие давления. Первый раз, когда был выбит крупным метеоритом из земной поверхности (предположительно из северного борта Попигайского кратера) и второй — во время падения в 1908 г.[30][31]
В 1965 году американские учёные Кован и Либби высказали гипотезу, что Тунгусский метеорит состоял из антиматерии и при соприкосновении с материей земной атмосферы произошла аннигиляция, то есть материя и антиматерия, соединившись вместе, превратились в энергию, не оставив никаких осколков[32].
Экзотические версии: столкновение с Землёй миниатюрной чёрной дыры со следами в Патомском кратере, авария инопланетного космического аппарата (выдвинута известным советским писателем-фантастом А. Казанцевым и пародийно развитая Аркадием и Борисом Стругацкими в повести «Понедельник начинается в субботу»), эксперименты Николы Теслы[33][34] с беспроводной передачей электроэнергии, гипотеза Н. А. Савельевой-Новосёловой и А. В. Савельева об антропогенном воздушном ядерном взрыве[35].
Группа итальянских геологов из Болонского университета, под руководством Луки Гасперини (Luca Gasperini), ещё в 1994 году выдвинула гипотезу о том, что кратером Тунгусского метеорита может быть озеро Чеко[36] на реке Кимчу, расположенное всего в 8 километрах на северо-запад от общеизвестного эпицентра взрыва. Это озеро — практически идеальная окружность по форме, имеет глубину до 50 м и коническую форму дна. Подобную морфологию, отличную от других сибирских озёр, невозможно объяснить обычными процессами эрозии и отложения, утверждают они. Свои исследования изложили в статьях 2007 года «Найденный кратер как возможный результат Тунгусского метеорита 1908 г.» («A possible impact crater for the 1908 Tunguska Event»)[37] и 2008 года «Тунгусский метеорит и озеро Чеко: причинно-следственная связь или её отсутствие?» («Lake Cheko and the Tunguska Event: impact or non-impact?»)[38]. В 2008 году итальянцы провели пробное бурение дна озера. Там они применили гидроакустические, радиолокационные, биологические и химические методы. В ходе работы была построена стратиграфическая модель дна озера, его батиметрическая карта, проведён химический анализ озёрных отложений. Методом годичных колец исследован возраст прилегающих деревьев. Все данные указали на то, что возраст озера Чеко не должен превышать 100 лет, что согласуется с гипотезой о том, что оно образовалось в 1908 г. в результате падения небесного тела[39].
В мае 2012 г. появилась информация, что итальянским учёным удалось-таки отыскать обломок легендарного метеорита на дне озера Чеко[40], в виде огромного куска скалы размером до 20 метров на его дне. Однако данные не подтверждены, и, к тому же, — существуют исследования, в принципе опровергающие теорию итальянцев (наличие на берегу озера деревьев возрастом свыше 100 лет)[41].
Вулканолог В. Е. Быкасов предлагает версию[42], согласно которой метеорит представлял собой блок пористого материала вулканического происхождения — пемзы.
В культуре
В литературе
В 1937 году была опубликована повесть журналиста и писателя Мануила Семенова «Пленники Земли», в которой, впервые, тунгусский феномен связывался с посадкой инопланетного (марсианского) космического корабля.
Начиная с романа Александра Казанцева «Пылающий остров» (1940—1941) и его же рассказа «Взрыв» (1946), гипотеза о взрыве инопланетного корабля стала настолько популярной в советской фантастике, что превратилась фактически в общее место (например, «Фарсаны» Семёна Слепынина, «Последний ангел» Константина Брендючкова). Станислав Лем в романе «Астронавты» также использовал эту гипотезу — в романе корабль был разведчиком, направленным воинственными жителями Венеры, готовившимися уничтожить жизнь на Земле и захватить её, но не осуществившими своего плана из-за глобальной войны и всеобщей гибели.
Братья Стругацкие в повести «Понедельник начинается в субботу»[43] предложили свою версию, контрамотную, заключающуюся в том, что корабль был не просто инопланетный, а из другого пространства, в котором время относительно нашего идёт задом наперёд, да ещё и дискретно, то есть после полуночи у них наступает не наше «завтра», а наше «вчера». Потому люди ничего и не нашли, что инопланетный корабль прилетел, устроил пожар, а сам ушёл в наше прошлое. Гипотеза движения тунгусского метеорита обратно во времени (то есть последствия в таком случае предшествуют событию) была высказана в СССР ещё до 1969 года, а затем в 2000-х годах литературно описана Юрием Пернатьевым[44].
В сборнике «Фантастика. 1964 год» опубликована статья Г. Альтова и В. Журавлёвой «Путешествие в эпицентр полемики»[45], где предлагается фантастическая гипотеза, по которой взрыв был вызван лазерным сигналом, пришедшим на Землю от цивилизации планетной системы 61 Лебедя.
В серии Кира Булычёва «Приключения Алисы» Тунгусский феномен упоминается как минимум дважды, но рассказы противоречат друг другу. В первом из рассказов, «Свой человек в прошлом» (сборник «Девочка, с которой ничего не случится») взрыв упоминается как результат не вполне удачных испытаний ранней модели машины времени[46]:
Представитель Института времени … стоял перед машиной времени и объяснял научной общественности её устройство. Научная общественность внимательно слушала его.
— Первый опыт, как вы все знаете, был неудачен, — говорил он. — Посланный нами котёнок попал в начало двадцатого века и взорвался в районе реки Тунгуски, что положило начало легенде о Тунгусском метеорите. С тех пор мы не знали крупных неудач…
Во втором рассказе (из книги «Миллион приключений») два сотрудника Института времени возвращаются из 1908 года и один из них утверждает, что это было простое ядро кометы. Также в книге Кира Булычёва «Тайна Урулгана» Тунгусский феномен предстаёт в виде потерпевшего крушение инопланетного космического корабля.
В серии Вадима Панова «Тайный Город» (в основном, в томе «Кафедра Странников») Тунгусский феномен связывается с запуском и последующими попытками сокрытия главного человского артефакта и Источника магической энергии — Трона (Малый Трон Посейдона).
В повести Юрия Сбитнева «Эхо» (1986), жанр которой в советское время был определён как «современная сказка», одна из глав посвящена Тунгусскому диву. Описанное в повести опирается на свидетельства реальных людей.
Является центральной темой «Ледяной Трилогии» Владимира Сорокина, состоящей из романов «Путь Бро», «Лёд» и «23000».
В комиксе Ultimate Nightmare (Marvel Comics) сюжет напрямую связан с падением Тунгусского метеорита.
В серии мини-комиксов Assassin’s Creed «речь пойдёт о том, что действительно случилось близ реки Подкаменная Тунгуска 30 июня 1908 года»[47].
Взрыв тунгусского метеорита также описывается в одном из романов серии «Приключения Томека Вильмовского» польского писателя Альфреда Шклярского.
О падении Тунгусского метеорита рассказывается в повести Евгения Некрасова «Золотая жила для Блина».
В серии романов Андрея Величко из жанра альтернативной истории (части «Гатчинский коршун», «Канцлер империи») попавший в прошлое герой использует падение метеорита для дезинформации других стран — чтобы все поверили в наличие у России мощного оружия.
Популярность темы у фантастов, особенно начинающих, привела к тому, что в 1980-х годах журнал «Уральский следопыт» в числе требований, предъявляемых к предлагаемым для публикации фантастическим произведениям, упомянул: «Не рассматриваются произведения, в которых раскрывается тайна Тунгусского метеорита».
Фильмы
В сериале «Секретные материалы» есть серия под названием «Тунгуска» (4 сезон, 8 серия, «Tunguska» 01.12.1996), где описывается инопланетное вторжение.
В фильме «Хеллбой: Герой из пекла» Распутин покупает у русских военных обелиск, сделанный из камня Тунгусского метеорита для проведения обряда.
Музыка
В клипе группы Metallica на песню All Nightmare Long рассказана история нахождения на месте взрыва метеорита инопланетных спор, с помощью которых Советский Союз захватывает власть над миром.
«Манго-Манго» в своей песне и клипе «Беркут» изложила одну из версий Тунгусского метеорита.
Алан Парсонс посвятил Тунгусскому феномену инструментальную композицию «Return to Tunguska», открывающую альбом «The Valid Path».
Компьютерные игры
В игре Crysis 2 упоминается, что трое учёных, Джейкоб Харгрив, Карл Эрнест Раш и Уолтер Гулд, достали образцы инопланетных технологий в Тунгуске в 1919 году. Действие игры происходит в 2023-м, и первые два продлили себе жизнь с их помощью, а Харгрив сколотил состояние, изучая и применяя найденные нанотехнологии, результатом развития которых является костюм главного героя.
Игра Secret Files: Tunguska построена вокруг некоего артефакта, появившегося в результате падения метеорита и позволяющего управлять сознанием человечества.
Игра Syberia II. В самом начале вступительного ролика поезд проходит место с координатами , то есть через эпицентр взрыва Тунгусского метеорита по Фасту.
В серии игр Resistance в альтернативной реальности метеорит принёс с собой вирус, порождающий химер — опасных четырёхглазых чудовищ. После падения России в 1947 году весь остальной мир пал за 6 лет (то есть к 1953 году, время действия второй части).
Герою игры Розовая Пантера: Фокус-Покус предстоит путешествовать по разным странам. Оказавшись в Сибири, Пантера встречает бабушку, которая рассказывает ему о Тунгусском феномене. Далее по сюжету он находит осколок светящегося говорящего метеорита.
См. также
Гипотезы о природе Тунгусского метеорита
Бразильская Тунгуска
Витимский болид
Примечания
Примечания
Сноски
Литература
Ссылки
// Грани. Ру, 2007
Исполнилось 100 лет Тунгусской аномалии. , ,
.
— обзорная статья BBC News к 100-летию события(in English)
Фильмография
Док. фильм , см.
«С точки зрения науки: Экспедиция Апокалипсис» (English: Naked Science: Expedition Apocalypse) // National Geographic Channel, 2010 г.
// History
(Investigation X: Siberian Apocalypse) // Discovery Science
Категория:Болиды
Категория:Катастрофы XX века
Категория:Катастрофы в России
1908
30
Категория:1908 год в науке
Категория:Солнечная система в фантастике
Категория:География Красноярского края
Категория:Возможный внеземной контакт | https://ru.wikipedia.org/wiki/%D0%A2%D1%83%D0%BD%D0%B3%D1%83%D1%81%D1%81%D0%BA%D0%B8%D0%B9%20%D0%BC%D0%B5%D1%82%D0%B5%D0%BE%D1%80%D0%B8%D1%82 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1152,
2266,
2793,
3281,
3398,
3586,
3965,
4350,
4679,
5167,
5649,
5880,
6438,
6707,
6768,
6935,
7396,
7605,
7639,
7816,
8004,
8304,
8465,
8612,
9200,
11106,
12468,
13217,
13544,
13613,
13798,
14034,
14122,
14724,
15365,
16742,
17095,
17366,
18503,
19015,
19715,
20009,
20102
],
"plaintext_end_byte": [
1151,
2258,
2792,
3280,
3387,
3585,
3957,
4349,
4671,
5166,
5648,
5879,
6404,
6706,
6767,
6934,
7394,
7604,
7638,
7815,
8003,
8303,
8464,
8611,
9199,
11085,
12457,
13203,
13543,
13612,
13797,
14033,
14093,
14692,
15364,
16741,
17094,
17361,
18502,
19004,
19700,
19993,
20085,
20142
]
} | G단백질은 인체에 어떤 영향을 미치는가? | 뷰티르산 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
뷰티르산(, 그리스어 "βούτῡρον"에서 유래, "butter"를 의미함)은 계통명은 부탄산()이고, BTA로 약칭되며,[1] 화학식이 CH3CH2CH2-COOH 인 카복실산이다. 뷰티르산의 염 및 에스터(에스테르)는 뷰티레이트(butyrate) 또는 부타노에이트(butanoate)로 알려져 있다. 뷰티르산은 우유 특히 염소, 양 및 아메리카들소의 젖, 버터, 파르미자노 레자노 치즈 및 혐기성 발효 산물(결장 및 액취증 포함)에서 발견된다. 또한 뷰티르산은 허쉬 공정에 의해 생산된 밀크 초콜릿에서 발견되거나, 허쉬 초콜릿의 맛을 모방하기 위해 첨가된 것으로 추측된다.[2] 뷰티르산은 사람의 구토물에 존재하며, 불쾌한 냄새를 낸다.[3] 뷰티르산은 불쾌한 냄새와 콕 쏘는 맛을 가지며, 에테르와 유사한 약간 감미로운 뒷맛을 가진다. 개와 같은 좋은 냄새 탐지 능력이 있는 포유류는 뷰티르산을 10ppb(parts per billion)로 탐지할 수 있는 반면에 사람은 10ppm(parts per million)이상의 농도에서 뷰티르산을 탐지할 수 있다.
뷰티르산은 1814년 프랑스의 화학자 미셀 외젠 슈브뢰이(Michel Eugène Chevreul)에 의해 불순한 형태로 처음 관찰되었다. 1818년까지 슈브뢰이는 뷰티르산을 특징짓기 위해 충분하게 정제했다. 그러나 슈브뢰이는 뷰티르산에 대한 초기 연구를 발표하지 않았고, 대신 프랑스 파리에 있는 과학 아카데미에 원고 형태로 연구 결과물을 맡겼다. 또한 프랑스의 화학자인 앙리 브라코노(Henri Braconnot)도 버터의 성분을 연구하고 연구 결과를 발표했는데 이것이 우선권에 대한 논쟁으로 이어졌다. 1815년 초에 슈브뢰이는 버터 냄새의 원인이 되는 물질을 발견했다고 주장했다.[4] 1817년에 슈브뢰이는 뷰티르산의 성질에 관한 연구 결과를 발표하고, 뷰티르산의 이름을 지었다.[5] 그러나, 1823년에 이르러서야 뷰티르산의 특성이 자세히 밝혀졌다.[6] 뷰티르산이란 이름은 처음 발견된 물질인 butyrum (또는 buturum)이라는 버터의 라틴어 단어에서 유래되었다.
화학
뷰티르산은 동물성 지방에서 에스터의 형태로 발견되는 지방산이다. 뷰티르산의 트라이글리세라이드는 버터의 3~4%를 차지한다. 버터가 산패할 때, 가수분해에 의해 글리세라이드로부터 뷰티르산이 유리되어 불쾌한 냄새가 난다. 뷰티르산은 짧은 사슬 지방산이라고 불리는 지방산 하위 그룹의 주요 구성원이다. 뷰티르산은 염기와 강력한 산화제와 반응하여 많은 금속을 공격하는 중-강산이다.[7]
뷰티르산은 물, 에탄올 및 에테르에 쉽게 용해되는 유성의 무색 액체이며 염화 칼슘과 같은 염으로 포화되어 액상으로부터 분리될 수 있다. 뷰티르산은 중크롬산 칼륨과 황산을 사용하여 이산화 탄소와 아세트산으로 산화되는 반면, 알칼리성 과망간산 칼륨은 뷰티르산을 이산화 탄소로 산화시킨다. 칼슘 염인 Ca(C4H7O2)2·H2O 은 뜨거운 물보다 차가운 물에 더 잘 녹는다.
뷰티르산은 이소뷰티르산(2-메틸프로판산)이라 불리는 구조 이성질체를 갖는다.
안전성
뷰티르산을 취급할 때 위험을 최소화하기 위해 고무 또는 PVC 장갑, 보호 안경, 화학 반응 저항성 옷, 신발과 같은 개인 보호 장비를 사용한다.
뷰티르산을 흡입하면 목이 아프고, 기침, 작열감, 호흡 곤란을 유발할 수 있다. 뷰티르산의 섭취는 복통, 쇼크 및 쇠약을 초래할 수 있다. 뷰티르산에 물리적으로 노출되면 통증, 물집, 피부 화상을 유발할 수 있지만 눈에 노출되면 통증, 심한 화상 및 시력 저하를 초래할 수 있다.[7]
제조
뷰티르산은 당분 또는 녹말의 발효에 의해 산업적으로 제조되며, 탄산 칼슘은 제조 공정에서 형성된 산을 중화하기 위해 첨가된다. 녹말의 뷰티르산 발효는 고초균(Bacillus subtilis)의 직접 첨가에 의해 촉진된다. 뷰티르산의 염 및 에스터(에스테르)는 뷰티레이트 또는 뷰타노에이트로 불린다.
뷰티르산 또는 뷰티르산 발효는 돼지풀의 일종인 Heracleum giganteum 의 오일에서 헥실 에스터 헥실 뷰티레이트로 발견되며, 파스닙(Pastinaca sativa)에서 옥틸 에스터 옥틸 뷰티레이트로 발견된다. 또한 뷰티르산은 피부균총 및 땀에서 주목받아 왔다.
사용
뷰티르산은 다양한 뷰티레이트 에스터 제조에 사용된다. 메틸 뷰티레이트와 같은 뷰티르산의 저분자 에스터는 대부분 기분 좋은 향과 맛을 가진다. 그래서 식품 및 향수에 첨가제로 사용된다. 또한 뷰티르산은 병원성 세균의 증식을 감소시키는 능력 때문에 동물 사료 보충제로도 사용된다.[8] 뷰티르산은 EU FLAVIS 데이터베이스(번호 08.005)에서 식품 향료로 승인되었다.
또한 강한 냄새 때문에 뷰티르산은 낚시 미끼 첨가제로도 사용되었다.[9] 잉어(Cyprinus carpio) 미끼에 사용되는 상업적으로 이용 가능한 많은 향들은 에스터 염기로 뷰티르산을 사용한다. 뷰티르산 자체 또는 뷰티르산이 첨가된 물질에 의해 어류가 유인되는지는 불분명하다. 그러나 뷰티르산은 유럽 잉어나 유럽 납줄개의 입맛에 맞는 몇몇 유기산들 중 하나였다.[10]
뷰티르산은 해양 생물 보호 단체가 일본 포경선 선원들을 방해하거나,[11] 낙태에 반대하는 시위자들이 낙태 크리닉의 활동을 방해하기 위한 악취탄으로도 사용되어 왔다.[12]
뷰티르산은 아세트산과 함께 셀룰로스와 반응하여 다양한 도구, 부품 및 코팅에 사용되는 셀룰로스 아세테이트 뷰티레이트(CAB)를 생산할 수 있으며 셀룰로스 아세테이트보다 분해에 대한 저항성이 더 크다.[13] 그러나, CAB는 열기 및 습기에 노출되면 뷰티르산을 방출하며 분해될 수 있다.[14] 이 과정은 오래된 스크루 드라이버 및 기타 수공구의 구토물 냄새 같은 불쾌한 냄새로 종종 관찰된다.[15]
생화학
미생물의 생합성
뷰티레이트는 혐기성 세균에 의해 수행되는 발효 공정의 최종 생성물로 생산된다. 발효차인 콤부차는 발효로 생성된 뷰티르산을 포함하고 있다. 이 발효 경로는 1861년 루이 파스퇴르에 의해 발견되었다.
세균에서 뷰티레이트 생성 세균 종류의 예시:
Clostridium butyricum
Clostridium kluyveri
Clostridium pasteurianum
Faecalibacterium prausnitzii
Fusobacterium nucleatum
Butyrivibrio fibrisolvens
Eubacterium limosum
그 경로는 대부분의 생물체에서 일어나는 포도당이 2분자의 피루브산으로 분해되는 해당과정으로 시작된다. 피루브산은 피루브산 생성효소(피루브산:페레독신 산화환원효소)로 불리는 효소 시스템을 포함하는 독특한 메커니즘을 사용하여 아세틸-CoA로 산화된다. 2분자의 이산화 탄소(CO2)와 2분자의 수소 원자(H2)가 세포로부터 부산물로 생성된다.
발효의 마지막 단계에서 ATP가 생성된다. 포도당 1분자당 3분자의 ATP가 생성되는 비교적 높은 수율을 가진다. 이러한 발효 과정의 전체 반응식은 다음과 같다.
C6H12O6 → C4H8O2 + 2 CO2 + 2 H2
몇몇 세균 종류은 뷰티레이트 발효로 시작하는 대체 경로에서 아세톤과 n-뷰탄올을 형성한다. 이들 세균 종류의 일부는 다음과 같다:
Clostridium acetobutylicum, 산업적으로 가장 많이 이용되는 아세톤 및 프로판올 생산자
Clostridium beijerinckii
Clostridium tetanomorphum
Clostridium aurantibutyricum
이러한 세균은 위에서 설명한 바와 같이 뷰티레이트 발효로 시작하지만, pH가 5미만으로 떨어지면 pH가 더 떨어지는 것을 방지하기 위해 뷰탄올과 아세톤 생산으로 대사가 전환된다. 아세톤 1분자 당 2분자의 뷰탄올이 생성된다.
대사 경로의 변화는 아세토아세틸-CoA 생성 이후에 일어난다. 이 과정의 중간 생성물은 2가지 가능한 대사 경로를 취한다:
아세토아세틸-CoA → 아세토아세테이트 → 아세톤
아세토아세틸-CoA → 뷰티릴-CoA → 뷰틸알데하이드 → 뷰탄올
저항성 녹말, 귀리 시리얼, 펙틴, 구아 등으로부터 유래한 고발효성 섬유 잔류물들은 셀룰로스와 같은 저발효성 섬유보다 대장균에 의한 뷰티레이트를 포함하는 짧은 사슬 지방산을 더 많이 생성한다.[16] 한 연구에 따르면 저항성 녹말은 다른 형태의 식이 섬유보다 지속적으로 많은 뷰티레이트를 생성한다.[17] 소와 같은 반추동물에서 식이 섬유로부터 짧은 사슬 지방산을 생성하는 것은 우유와 버터 속에 뷰티레이트가 들어있는 원인이다.[18]
프룩탄은 프리바이오틱(prebiotic) 가용성 식이 섬유의 또 다른 공급원이다. 프룩탄은 부추속(Allium) 식물과 십자화과(Cruciferous) 식물과 같은 황이 많이 포함된 채소의 가용성 섬유에서 종종 발견된다. 프룩탄의 공급원은 밀,[19] 호밀, 보리, 양파, 마늘, 아스파라거스, 비트, 치커리, 파의 흰색 부분, 브로콜리, 방울 양배추, 양배추, 회향 등을 포함하고, 프럭토올리고당(FOS), 올리고프럭토스, 이눌린과 같은 프리바이오틱스(prebiotics)를 포함한다.[20][21] 이러한 식품의 대부분은 저항성 녹말에 비해 뷰티레이트 생성이 부족하지만 많은 장점을 가진다. 이들 식품은 일반적으로 낮은 혈당 지수를 가지며, 히스톤 탈아세틸화효소(histone deacetylase, HDAC) 저해제로 혈액뇌장벽을 통과하여 뇌세포의 미토콘드리아에서 연로로 사용되는 β-하이드록시뷰티르산으로부터 혜택을 보는 케톤생성성 식이를 하는 사람들의 관심을 끈다.[22] 뷰티레이트 생성 식품의 다른 히스톤 탈아세틸화효소 저해제는 설포라판(sulforaphane)[23] 으로 사람의 유방암 세포를 억제하는데 도움을 준다.[24] 설포라판은 쥐에서 모발 성장을 촉진시키는 것으로 나타났으며,[25] 궤양을 예방하는 화합물을 함유하고 있으며,[26] 쥐의 인지 능력에 도움을 준다.[27] 브로콜리의 설포라판은 적절하지 않게 준비되면 파괴된다는 점에 유의해야 한다.[28] 마늘에 함유된 프럭탄에서 발견된 디알릴 디설파이드(diallyl disulfide)는 설치류에서 화학 독성 및 발암을 감소시키는 것으로 밝혀졌으며,[29] 사람의 대장암세포의 성장을 억제할 때 뷰티레이트와 함께 시너지 효과를 나타냈다.[30]
약리학
약력학
다른 짧은 사슬 지방산(short-chain fatty acids, SCFAs)들과 마찬가지로 뷰티레이트는 에너지 균형을 조절하는데 도움을 주는 영양 센서로 기능하는 유리 지방산 수용체인 FFAR2와 FFAR3의 작용 물질이다.[31][32][33] 다른 짧은 사슬 지방산들과는 달리,[33] 뷰티레이트는 니아신 수용체 1(NIACR1, 또는 GPR109A로도 알려진)의 작용 물질이기도 하다.[31][32][33] 뷰티르산은 특히 대장세포의 미토콘드리아에서 사용되고, 간에서 지방산 대사 과정 동안 ATP를 생성하는데 이용된다.[31] 뷰티르산은 히스톤 탈아세틸화효소 저해제(구체적으로, HDAC1, HDAC2, HDAC3, and HDAC8)로 작용하여 세포에서 히스톤이 아세틸화된 상태로 머물게 한다.[31] 히스톤의 아세틸화는 히스톤 단백질과 DNA 사이의 정전기적 인력을 줄임으로써 염색질의 구조를 느슨하게 풀어준다.[31] 일반적으로 전사인자는 히스톤이 DNA와 단단하게 결합된 영역(즉, 탈아세틸화된, 예를 들어 이질염색질)에 접근할 수 없을 것으로 생각된다. 따라서, 뷰티르산은 프로모터에서 전사 활성을 증가시키는 것으로 생각되며,[31] 히스톤 탈아세틸화효소 활성으로 인해 보통 침묵되거나 하향 조절된다.
약동학
식이 섬유의 미생물 발효를 통해 결장에서 생산되는 뷰티레이트는 결장세포와 간에서 흡수되어[주 1] 에너지 대사 과정 동안 ATP를 생성한다.[31] 그러나 일부 뷰티레이트는 결장 말단부에서 흡수되고, 간문맥으로 들어가지 않아 순환계를 통해 뷰티레이트가 전신의 여러 장기에 분포될 수도 있다.[31] 전신 순환을 하는 뷰티레이트는 모노카복실레이트 수송체(즉, SLC16A 수송체들의 일종)를 통해 혈액뇌장벽을 용이하게 통과할 수 있다.[34][35] 세포막을 가로지르는 뷰티레이트의 통과를 매개하는 다른 수송체로는 SLC5A8(SMCT1), SLC27A1(FATP1), SLC27A4(FATP4)가 있다.[35]
물질대사
뷰티르산은 뷰티레이트-CoA 리게이스라고도 불리는 사람에 있는 다양한 XM-리게이스(xenobiotic/medium-chain fatty acid-ligase)(ACSM1, ACSM2B, ASCM3, ACSM4, ACSM5, ACSM6)에 의해 대사된다.[3] 이 반응에 의해 생성된 대사 산물은 뷰티릴-CoA이며, 다음과 같이 생성된다.[3]
ATP + 뷰티르산 + CoA → AMP + 피로인산(PPi) + 뷰티릴-CoA
짧은 사슬 지방산인 뷰티레이트는 지방산 대사를 통한 에너지(즉, 아데노신 삼인산 또는 ATP) 공급원으로써 미토콘드리아에 의해 이용된다.
사람에서 트라이아실글리세롤 라이페이스는 다음 반응을 통해 뷰티레이트의 프로드러그인 트라이뷰티린(tributyrin)을 다이뷰티린(dibutyrin)과 뷰티레이트(Butyrate)로 전환시킨다.[36]
트라이뷰티린 + H2O= 다이뷰티린 + 뷰티레이트
연구
말초 치료 효과
뷰티레이트는 에너지 항상성 및 관련 질환(당뇨병 및 비만), 염증 및 면역(예: 항균 및 항암 효과가 있음)과 관련해서 사람에게 많은 유익한 효과를 제공한다.[32][37] 이러한 효과는 지방산 대사 동안 ATP를 생성하는 미토콘드리아에 의한 뷰티레이트의 이용을 통해 일어나거나 또는 하나 이상의 뷰티레이트의 히스톤 변형 효소 표적(즉, I형 히스톤 탈아세틸화효소) 및 G-단백질 연결 수용체(즉, FFAR2, FFAR3, and NIACR1)를 통해 일어난다.[32]
면역 조절과 염증 반응
뷰티레이트의 면역계에 미치는 영향은 I형 히스톤 탈아세틸화효소의 억제와 뷰티레이트의 G 단백질 연결 수용체 표적인 NIACR1(GPR109A), FFAR2(GPR43), FFAR3(GPR41)의 활성화를 통해 매개된다.[33][38] 짧은 사슬 지방산 중 뷰티레이트는 시험관 내에서 장 조절 T세포의 가장 강력한 프로모터이며, NIACR1 리간드들 중에서 유일하다.[33] 뷰티르산은 결장에서 염증 반응의 중요한 매가자인 것으로 나타났다. 뷰티르산은 염증 매개 궤양성 대장염과 대장암을 막는 예방적, 치료적 잠재력을 가지고 있다.
뷰티레이트는 항균 펩타이드 LL-37을 통해 사람에게 항균성을 부여하며, 이는 히스톤 H3에 대한 히스톤 탈아세틸화효소 억제를 통해 유도된다.[38][39][40] 뷰티레이트는 FOXP3(Tregs의 전사인자)의 유전자 발현을 증가시키고, I형 히스톤 탈아세틸화효소의 억제를 통해 결장 조절 T세포(regulatory T cells, Tregs)를 촉진시킨다.[33][38] 이러한 작용을 통해 뷰티레이트는 항염증성 사이토카인인 인터루킨 10의 발현을 증가시킨다.[38][33] 뷰티레이트는 또한 히스톤 탈아세틸화효소 저해를 통해 부분적으로 매개되는 IFN-γ–STAT1 신호전달경로를 억제함으로써 대장 염증을 막는다. 일시적인 IFN-γ 신호전달은 일반적으로 정상적인 숙주의 면역 반응과 관련이 있는 반면 만성적인 IFN-γ 신호전달은 종종 만성적인 염증과 관련이 있다. 뷰티레이트가 T세포의 Fas 유전자 프로모터에 결합된 히스톤 탈아세틸화효소1(HDAC1)의 활성을 억제하여 Fas 프로모터의 과아세틸화 및 T세포 표면의 Fas 수용체의 상향 조절을 일으키는 것으로 밝혀졌다.[41] 이는 뷰티레이트가 결장 조직에서 T세포의 세포 사멸을 증가시켜 염증의 원인(IFN-γ 생성)을 제거하는 것으로 제안되었다.[41]
다른 NIACR1 작용제와 마찬가지로 뷰티레이트도 뇌, 위장관, 피부 및 혈관을 비롯한 다양한 조직에서 현저한 항염증효과를 나타낸다.[42][43][44][45] FFAR3에 결합한 뷰티레이트는 신경펩타이드 Y의 방출을 유도하고, 결장 점막 및 장 면역계의 기능적 항상성을 촉진한다.[46]
뷰티르산은 포유류 결장(결장세포)의 막을 형성하는 세포의 에너지(ATP) 공급원으로 중요하다. 뷰티르산을 에너지로 사용하지 않으면, 결장세포는 상향조절된 자가소화 작용(즉, 자기소화)을 겪는다.[47]
암
뷰티레이트는 정상세포와 암세포에서 서로 다른 효과를 나타낸다. 이는 "뷰티레이트의 역설(butyrate paradox)"로 알려져 있다. 특히 뷰티레이트는 결장 종양 세포는 억제하고, 정상적인 결장상피 세포는 촉진시킨다.[48] 그 신호전달 메커니즘은 잘 알려져 있지 않다.[49] 보고서는 뷰티레이트의 화학적 예방 효과가 부분적으로 종양 형성 과정과 관련된 노출량, 노출시간 및 식이 지방의 종류에 달려 있다고 제안했다.[16] 발효될 수 있는 섬유에서 뷰티레이트와 같은 휘발성 지방산(짧은 사슬 지방산)의 생산은 대장암에서 식이 섬유의 역할에 기여할 수 있다.[16] 뷰티르산을 포함한 짧은 사슬 지방산은 적절한 양의 식이 섬유가 함유된 식물성 식품인 프리바이오틱스를 먹이로 하거나 발효시키는 유익한 장내 세균(프로바이오틱)에 의해 생산된다. 이 짧은 사슬 지방산은 에너지 생성과 세포 증식을 증가시켜 결장 세포에 도움이 되며, 결장암을 예방할 수 있다.[50]
반대로 일부 연구자들은 뷰티레이트를 제거하려고 시도하며 뷰티레이트를 잠재적인 암 유발자로 간주하고 있다.[51] 생쥐에 대한 연구 결과 뷰티레이트가 MSH2 결핍 결장 상피세포의 형질전환을 유도한다는 사실이 밝혀졌다.[52] 이는 유전자 결핍과 관련이있다. 유전적으로 문제가 있는 경우 나이아신, β-하이드록시뷰티레이트 및 커규민은 효과적인 보조 치료제가 될 수 있다.[53]
당뇨병
미생물과 당뇨병의 관계에 대한 보고서는 뷰티레이트가 모델 동물과 제2형 당뇨병 환자에서 "심각한 면역 대사 효과"를 유도할 수 있다고 주장했다.[37] 또한 비만, 당뇨병과 인체 내에서 현저한 장내 세균의 불균형 간의 관계 역시 주목받았으나, 아직 이에 대해선 완전하게 이해되고 있지는 않다.[37] 이러한 질병에서 뷰티레이트의 사용에 대한 강력한 증거가 있음을 인정하면서, 이 보고서는 이들 질병의 치료 방법을 개선하기 위해 질병의 병태생리학(즉, 생체분자의 메커니즘)에 대한 보다 많은 연구를 요구했다.[37]
같이 보기
히스톤
히스톤 변형 효소
히스톤 아세틸화효소
히스톤 탈아세틸화효소
하이드록시뷰티르산
α-하이드록시뷰티르산
β-하이드록시뷰티르산
γ-하이드록시뷰티르산
β-하이드록시 β-메틸뷰티르산
β-메틸뷰티르산
주해
각주
This articleincorporates text from a publication now in the public domain:
외부 링크
분류:생화학 물질
분류:지방산
| https://ko.wikipedia.org/wiki/%EB%B7%B0%ED%8B%B0%EB%A5%B4%EC%82%B0 |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
1347,
1480,
1861,
2696,
2958,
3761,
4290,
5687,
6079,
6620,
7333,
7838,
8417,
9338,
9980,
10564,
11190,
11906,
12431,
14335,
14926,
15586,
17139,
17900,
18689,
19510,
20489,
20981,
21208,
21884,
22117,
23758
],
"plaintext_end_byte": [
1339,
1479,
1860,
2695,
2923,
3760,
4289,
5686,
6078,
6605,
7332,
7837,
8390,
9337,
9936,
10563,
11175,
11905,
12413,
14296,
14925,
15541,
17125,
17899,
18688,
19509,
20451,
20980,
21194,
21876,
22105,
23705,
23911
]
} | リチャード・ロジャースのデビュー作は何 | ロジャース&ハマースタイン | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
ロジャース&ハマースタイン(Rodgers & Hammerstein)とは、アメリカ合衆国の作曲家 リチャード・ロジャース(1902年–1979年)と作詞家 オスカー・ハマースタイン2世(1895年–1960年)のコンビ、あるいは彼等による作品をも指す。1940年代から1950年代の「ミュージカル黄金時代」とされた頃にブロードウェイの人気ミュージカルを製作していた[1]。ブロードウェイ・ミュージカルの『オクラホマ!』、『回転木馬』、『南太平洋』、『王様と私』、『サウンド・オブ・ミュージック』の5作品、およびテレビ・ミュージカルの『シンデレラ』は特にヒットした。『フラワー・ドラム・ソング』を含み、存命中に上演されたほかのブロードウェイ4作品もヒットし、「失敗作」とされるものはない。ロジャース&ハマースタインの作品の多くはプロアマ問わず世界中で何度も再演されている。多くの称賛を受けており、トニー賞34賞[2]、アカデミー賞15賞、グラミー賞2賞、そしてピューリッツァー賞を受賞している。ロジャース&ハマースタインは20世紀最高のミュージカル作家パートナーシップとされている[3]。
経緯
パートナーとなる以前からすでに、ロジャースもハマースタインもそれぞれ成功をおさめていた。
ロジャースは20年以上ロレンツ・ハートとコラボレートしており、『A Connecticut Yankee 』(1927年)、『Babes in Arms 』(1937年)、『The Boys from Syracuse 』(1938年)、『Pal Joey 』(1940年)、『By Jupiter 』(1942年)などのブロードウェイ・ミュージカルのほか、映画でも多くのヒット作を生み出していた[4]。
ハマースタインはルドルフ・フリムルと共にオペレッタ『Rose-Marie 』(1924年)を、シグマンド・ロンバーグと共にオペレッタ『The Desert Song 』(1926年)、『The New Moon 』(1928年)を共作し、ジェローム・カーンとの『Sunny 』(1925年)のヒットで成功しはじめた。カーンとのミュージカル『ショウボート』(1927年)はアメリカのミュージカルの最高傑作の1つとみなされている[5]。カーンとのコラボレーションにはほかに『Sweet Adeline 』(1929年)、『Very Warm for May 』(1939年)などがある。『Very Warm for May 』は批評家から酷評されたが、使用楽曲『All the Things You Are 』はカーンとハマースタインのコラボ作品の中でもっとも人気の曲となった[6]。
1940年代初頭までに、ハートは深刻なアルコール依存症および情緒不安定に陥り仕事にならなくなり、ロジャースはハマースタインにコラボレーションを持ちかけた[7] 。
初期の作品
オクラホマ!
ロジャースもハマースタインもそれぞれリン・リグスの戯曲『Green Grow the Lilacs 』のミュージカル化を検討していた。ハマースタインの提案をカーンが断り、ロジャースの提案をハートが断ったため、ロジャースとハマースタインは初めてコラボレーションすることとなった。この結果、『Green Grow the Lilacs 』を原作とした『オクラホマ!』(1943年)は革新的ミュージカル・ドラマとなった。感情の深さや複雑な心理を描いたミュージカルは初めてではなかったが、『オクラホマ!』は多くの新たな構成や技術を用いていた。物語を語るのに演技よりも歌やダンスを使用し、全ての曲に意味を持たせた。
『オクラホマ!』は当初『『Away We Go! 』と名付けられ、1943年3月、コネチカット州ニューヘイブンにあるシュバート・シアターで開幕した。ブロードウェイ開幕前にいくつかの変更が行われた。主な変更点は、盛り上がりの曲『Oklahoma! 』の追加、曲『Boys and Girls Like You and Me 』をカットして『People Will Say We're in Love 』を追加、追加された曲に合わせたミュージカル作品自体の改題の3点であった。
1943年3月31日、セント・ジェイムズ・シアターでオリジナル・ブロードウェイ・プロダクションが開幕した。当時のミュージカルはエセル・マーマンやフレッド・アステアなどのスターを中心に上演することが通例であったが、このプロダクションではスターを起用しなかった。アルフレッド・ドレイク(カーリー)、ジョーン・ロバーツ(ローリー)、セレステ・ホルム(アド・アニー)、ハワード・ダ・シルヴァ(ジャッド・フライ)、ベティ・ガード(エラー叔母)、リー・ディクソン(ウィル・パーカー)、ジョセフ・バロフ(アリ・ハキム)がオリジナル・キャストとして出演した。マーク・プラットが『Dream Curly 』の、キャスリン・サーガヴァが『Dream Laurey 』のダンスを担当した。『オクラホマ!』ではスターの魅力よりも物語や音楽がより重要と考えられていた。2,212回上演し、当時かつてないほどのロングラン公演となり1948年5月29日に閉幕した。前述の『People Will Say We're in Love 』や『Oklahoma! 』のほか、『Oh, What a Beautiful Mornin' 』、『The Surrey with the Fringe on Top 』、『I Cain't Say No 』など使用楽曲の多くがスタンダード・ナンバーとなっている。
1955年、Todd-AOシステムによる70mmフィルムのワイドスクリーンで史上初めて撮影された映画版『オクラホマ!』が公開され、アカデミー賞を受賞した。ゴードン・マクレー、シャーリー・ジョーンズが主演し、サウンドトラック『Oklahoma! 』は1956年のアルバム・チャートで第1位を獲得した[8][9]。
『オクラホマ!』の成功の後、ロジャース&ハマースタインは一旦離れ、ハマースタインはジョルジュ・ビゼーの『カルメン』を現代の南部に置き換え、登場人物をアフリカ系アメリカ人にしたブロードウェイ・ミュージカル『Carmen Jones 』の脚本執筆および作詞に集中した。1954年、映画版『カルメン』が製作され、主演のドロシー・ダンドリッジがアカデミー主演女優賞にノミネートされた。
回転木馬
1945年4月19日、モルナール・フェレンツの戯曲『Liliom 』のミュージカル化『回転木馬』がルーベン・マムーリアン演出によりブロードウェイのマジェスティック・シアターで開幕し、890回上演ののち1947年5月24日に閉幕した。ジョン・レイト、ジャン・クレイトン、ジーン・ダーリング、クリスティン・ジョンソン、バンビ・リンが出演した。『The Carousel Waltz 』(インストゥルメンタル)、『If I Loved You 』、『June Is Bustin' Out All Over 』、『ユール・ネヴァー・ウォーク・アローン(人生ひとりではない)』などの使用楽曲がヒットした。
当時『回転木馬』も革新的作品とされた。ヒーロー的でない主人公の死が描かれる最初のミュージカルの1つとなった[10]。ストーリーに重要な大掛かりなバレエのほか、歌、台詞、ダンスのある長い音楽シーンが複数含まれている。1956年の映画版『』はシネマスコープ55で撮影され、映画『オクラホマ!』主演のゴードン・マクレー、シャーリー・ジョーンズが再び主演した。
ロジャース&ハマースタインのミュージカルでは珍しく序曲がなく、舞台版も映画版もどちらも『Carousel Waltz 』で始まる。ジョン・モーチェリ指揮のハリウッド・ボウル・オーケストラによるフィリップス・レコードのロジャース&ハマースタイン序曲コレクションCD、および1954年のロジャース指揮のニューヨーク・フィルハーモニックのコロムビア・レコードのアルバムに『Carousel Waltz 』が収録されている[11]。
ステート・フェア
1945年、ロジャース&ハマースタインの音楽および脚本による、フィル・ストングの小説『State Fair 』のテクニカラー・ミュージカル映画版が公開された。1933年のミュージカルではないウィル・ロジャース主演の映画『あめりか祭』のリメイクで、ジーン・クレイン、ダナ・アンドリュース、ディック・ヘイムス、ヴィヴィアン・ブレインが主演した。ロジャース&ハマースタインにとって舞台版を経ずに映画版を製作した唯一の作品となった。大ヒットし、曲『It Might as Well Be Spring 』で2人にとって唯一のアカデミー賞を受賞したが、ほかのブロードウェイ作品と比較して冒険心のない音楽であった。1962年、さらなるリメイク映画『ステート・フェア』が公開されたが成功しなかった。
1969年、セントルイス・ミュニシパル・オペラによりオジー・ネルソンとハリエット・ネルソンの夫妻が主演のミュージカル『』が世界初上演された[12]。ハマースタインの息子のジェームズ・ハマースタインが演出、ロジャースが監修、トミー・チューンが振付を担当した。1986年3月27日、デイヴィッド・メリックのプロデュース、ダナ・マカクニー、アンドレア・マカードル主演でブロードウェイで開幕し、トニー賞5部門にノミネートされた。
1949年以降の主な作品
南太平洋
1949年4月7日、ブロードウェイ・ミュージカル『南太平洋』が開幕し、5年以上上演され続けた。『』、『』、『魅惑の宵』などの使用楽曲がスタンダードとなった。1948年にピューリッツァー賞 フィクション部門を受賞したジェームズ・ミッチェナーの『』の2本の短編を基にしている。1950年、ロジャース&ハマースタインは共同著者のジョシュア・ローガンと共にミュージカル『南太平洋』でピューリッツァー賞 戯曲部門を受賞した。
オリジナル・キャストにはメアリー・マーティン(ネリー)、オペラ・スターのエツィオ・ピンツァ(エミール)などがいる。ほかにファニタ・ホール、マイロン・マコーミック、ベタ・セント・ジョンなどが出演していた。1958年、映画『』がローガンの監督により製作され、ミッツィー・ゲイナー、ロッサノ・ブラッツィ、ジョン・カー、レイ・ウォルストン、ファニタ・ホールが出演した。ブラッツィ、カー、ホールはほかの歌手が歌の吹替を行なった。
王様と私
1860年代初頭のシャム(現タイ王国)のラーマ4世の子供たちのガヴァネスであったアナ・リオノウンズを描いたマーガレット・ランドンの『アンナとシャム王』を基にしたミュージカル『王様と私』が、1951年5月29日、ブロードウェイで開幕した。ガートルード・ローレンスがアンナ役を演じ、ほぼ無名であったユル・ブリンナーが王様役を演じた。『I Whistle a Happy Tune 』、『Hello, Young Lovers 』、『Getting to Know You 』、『We Kiss in a Shadow 』、『Something Wonderful 』、『I Have Dreamed 』、『シャル・ウィ・ダンス?』などの使用楽曲がヒットした。
1956年、映画『王様と私』が製作され、ブリンナーが王様役を再演し、デボラ・カーがアンナ役を演じた(歌はほとんどマーニ・ニクソンが吹き替えた)。ブリンナーはアカデミー主演男優賞を受賞し、カーはアカデミー主演女優賞にノミネートされた。ブリンナーは1977年、1985年のブロードウェイ版で再演したほか、1972年に短期間で終了したテレビ版『』でも王様役を再演した。
シンデレラ
著名な童話の『シンデレラ』を基にし、ロジャース&ハマースタインにとって唯一のテレビ・ミュージカルとなる『シンデレラ』が、1957年3月31日、CBSで放送された。1億700万人以上が視聴し、シンデレラ役で主演したジュリー・アンドリュースがエミー賞にノミネートされた[13][14][15]。当初ロジャース&ハマースタインはNBCと契約していたが、CBSがアンドリュースの出演を条件に話を持ち掛けてきたため2人はすぐに乗り換えた。のちにロジャースは「ジュリーと共に仕事ができるチャンスだったから」と語った。ほかにエディ・アダムス(魔法使い)、ケイ・バラード(ジョイ)、アリス・ゴスリー(ポーシャ)、ジョン・サイファー(クリストファー王子)が出演した。カラーで放送されたが、ネットワークはアンペックスの新しい白黒ビデオしか所有していなかったため白黒キネコしか残っていない。『My Own Little Corner 』、『Ten Minutes Ago I Met You 』、『Impossible: It's Possible 』などの使用楽曲がヒットした。1957年のテレビ・ミュージカル版の成功により、1965年、レスリー・アン・ウォーレン、セレステ・ホルム、ウォルター・ピジョンが出演したリメイクが製作され、さらに1997年、ABCでブランディ、ホイットニー・ヒューストン、バーナデット・ピータース、ウーピー・ゴールドバーグが出演したリメイクが製作された。舞台版がロンドンなどで上演され、2013年、ダグラス・カーター・ビーンが脚本を改訂し、ロジャース&ハマースタインの他の作品から4曲を追加しブロードウェイに進出した。
フラワー・ドラム・ソング
1950年代後期のサンフランシスコのチャイナタウンを舞台にした1957年のC・Y・リーの小説『フラワー・ドラム・ソング』を基にし、1958年、ミュージカル『フラワー・ドラム・ソング』が製作された。この作品でダンサー、歌手、俳優のジーン・ケリーが演出家デビューした。物語は、若い中国人女性が若く裕福な中国系アメリカ人男性との結婚のためアメリカに密入国するが、その時すでに男性はナイトクラブのダンサーと交際している。
ロジャース&ハマースタインの五大ミュージカルには入らないまでも成功をおさめており、ほとんどがアジア人出演者という新境地を開拓した。1961年の映画版『フラワー・ドラム・ソング』は製作費に見合わず、ロス・ハンターのプロダクションはユニバーサル・スタジオを離れた。2002年、ブロードウェイ再演ではレア・サロンガが主演し、デビッド・ヘンリー・ファンが脚本を改訂したが、世代や移民のテーマやオリジナルの楽曲のほとんどは残された。
サウンド・オブ・ミュージック
『』を基にし、ロジャース&ハマースタイン最後の作品となるミュージカル『サウンド・オブ・ミュージック』が製作された。メアリー・マーティン(マリア)、セオドア・ビケル(トラップ大佐)が主演した。1959年11月16日、ブロードウェイのラント・フォンテーン・シアターで開幕し、高評価を受け多くの賞を受賞した。以降何度も再演されている。1965年、映画『サウンド・オブ・ミュージック』が製作され、ジュリー・アンドリュース(マリア)とクリストファー・プラマー(トラップ大佐)が主演した。アカデミー賞において作品賞、ロバート・ワイズに対する監督賞を含む5部門で受賞した。1960年8月、映画が完成する前に作詞家のハマースタインが亡くなり、ロジャースが1人で映画のための新曲2曲『I Have Confidence 』、『Something Good 』を作詞を含めて作曲した[16]。ブロードウェイ・ミュージカルの映画化でもっとも興行収入において成功し、ロジャース&ハマースタインのほかのミュージカルに比べて多くのヒット曲を生み出した。テーマ曲の『』のほか、『ドレミのうた』、『私のお気に入り』、『』、『さようなら、ごきげんよう』、『』、『エーデルワイス』などがロジャース&ハマースタインの音楽の不朽の名作の一部となっている[17]。
レガシー
ロジャース&ハマースタインはミュージカル界の歴史を変えた。それまでプリンセス・シアターのミュージカルおよびハマースタイン&カーンの『ショウボート』を除く20世紀初頭のミュージカルは、通常奇抜または茶番的であったり、スター俳優を中心に上演されていた。ロジャース&ハマースタインの作品の成功により、多くのミュージカルがテーマに沿った示唆に富む話の流れを持つようになり、芝居、ダンス、歌、ストーリーが全て一体化するようになった。スティーヴン・ソンドハイムはロジャース&ハマースタインから多大な影響を受けていると語った[18]。
またロジャース&ハマースタインの作品には「お決まりの型」があるとされる。これを称賛する者もいれば、先が読めるとして批判する者もいる。「お決まりの型」とは、話の先が読めること以外に、配役についても言及している。強いバリトンの声の俳優を男性の主役に、優美で明るいソプラノの声の女優を女性の主役に、テナーやアルトは助演に配役される。この概念には例外もあるが、人選を容易にし、ロジャース&ハマースタインが観客に伝えたいことを声で届けることができる。ただしこの「お決まりの型」は『メリー・ウィドウ』などのウィーン・オペレッタでもみられる。
ウィリアム・A・エヴェレットとポール・R・レアドは『オクラホマ!』について「『ショウボート』と同様に節目となり、その後の複数の歴史家が、ロジャース&ハマースタインの『オクラホマ!』が20世紀の舞台史の重要なポイントと認識されるようになったと書いている」と記した[19]。マーク・ラボックは『The Complete Book of Light Opera 』の中で、「『オクラホマ!』以降、ロジャース&ハマースタインは『回転木馬』、『王様と私』、『南太平洋』などミュージカル界にもっとも重要な貢献をした。彼らの作品は社会思想に富むものが多く、ほかの才能あるミュージカル脚本家の指針にもなっている」と記した[3]。
1950年、ロジャース&ハマースタインはニューヨーク百年協会より、ニューヨーク市への貢献を称えられ金メダルを受賞した。1999年、アメリカ合衆国郵政公社において2人のパートナーシップを称え記念切手が作成された。ニューヨーク市の劇場はロジャースにちなんだリチャード・ロジャース・シアターと名付けた。2009年、『フォーブス』は亡くなった著名人でもっとも収入の高い人物リストにおいてロジャース&ハマースタインを2億3,500万ドルの収入があったとして第2位に位置付けた[20]。2010年、ロンドンのロイヤル・アルバート・ホールで行われたBBCプロムスのコンサートにおいてジョン・ウィルソン・オーケストラがロジャース&ハマースタインの作品の映画版の音楽を再現および演奏した[21]。
テレビおよび映画への出演
ロジャース&ハマースタインはテレビの生放送に何度か出演したことがある。1948年6月、CBSの『トースト・オブ・ザ・タウン』(のちの『エド・サリヴァン・ショー』)初回放送にゲスト出演した。1956年2月19日、クイズ番組『What's My Line? 』第298回にミステリー・ゲストとして出演し、目隠しをした回答者であるランダムハウス創業者のベネット・カーフが正解した[22]。
1953年、MGMの『』に出演し、自作曲においてロジャースがピアノを演奏し、ハマースタインが歌唱した。[23]。1958年、映画版『南太平洋』の予告編に出演した。
社会問題
ロジャース&ハマースタインの作品は陽気で明るい曲が使用されている一方、人種差別、性差別、階級差別などの社会問題に真剣に向き合うことにより、20世紀初頭のミュージカルの喜劇的あるいは感傷的な色調とは一線を画している[24][25]。例えば『回転木馬』ではドメスティックバイオレンス[26]、『南太平洋』では人種差別を扱っている[27]。またトラップ一家の実話に基づいた『サウンド・オブ・ミュージック』は、第三帝国によるオーストリア占拠をオーストリア人の視点で描いている[28]。
雑記
東欧系ユダヤ人出身。彼等が製作したミュージカルを映画化した20世紀フォックスでの作品ではクレジットタイトルで一際大きくRodgers & Hammersteinの文字が描かれる。
作品
1943年 オクラホマ! Oklahoma! (舞台)
1955年 オクラホマ! Oklahoma! (映画)
1945年 回転木馬 Carousel (舞台)
1956年 回転木馬 Carousel (映画)
1945年 ステート・フェア State Fair (映画)
1962年 ステート・フェア State Fair (映画)
1996年 ステート・フェア State Fair (舞台)
1947年 アレグロ Allegro (舞台)
1949年 南太平洋 South Pacific (舞台)
1958年 南太平洋 South Pacific (映画)
2001年 南太平洋 South Pacific (テレビ)
1951年 王様と私 The King and I (舞台)
1956年 王様と私 The King and I (映画)
1972年 アンナと王様 Anna and the King (テレビ)
1953年 ミー・アンド・ジュリエット Me and Juliet (舞台)
1955年 パイプ・ドリーム Pipe Dream (舞台)
1957年 シンデレラ Cinderella (テレビ)
1958年 シンデレラ Cinderella (パントマイム)
1965年 シンデレラ Cinderella (テレビ)
1997年 シンデレラ Cinderella (テレビ)
2013年 シンデレラ Cinderella (舞台)
1958年 フラワー・ドラム・ソング Flower Drum Song (舞台)
1961年 フラワー・ドラム・ソング Flower Drum Song (映画)
2002年 フラワー・ドラム・ソング Flower Drum Song (舞台)
1959年 サウンド・オブ・ミュージック The Sound of Music (舞台)
1965年 サウンド・オブ・ミュージック The Sound of Music (映画)
2013年 サウンド・オブ・ミュージック・ライヴ! The Sound of Music Live! (テレビ)
1993年 グランド・ナイト・フォー・シンギング A Grand Night for Singing (レヴュー)
関連項目
脚注
参考文献
外部リンク
Discography at Discogs
Time magazine's "100 most influential artists"
Columbia University Encyclopedia
at Jacob's Pillow PillowTalk, August 29, 2009
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E3%83%AD%E3%82%B8%E3%83%A3%E3%83%BC%E3%82%B9%26%E3%83%8F%E3%83%9E%E3%83%BC%E3%82%B9%E3%82%BF%E3%82%A4%E3%83%B3 |
{
"plaintext_start_byte": [
7,
318,
504,
1083,
1357,
1600,
1730,
1971,
2372
],
"plaintext_end_byte": [
317,
503,
1082,
1356,
1599,
1729,
1970,
2363,
2552
]
} | Vita katika nchi ya Kongo vilianza mwaka gani? | Hamed bin Mohammed el Murjebi | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Part of a series on theHistory of Tanzania
Timeline
History of Zanzibar
Colonial period
Scramble for Africa
German East Africa
Heligoland–Zanzibar Treaty
Maji Maji Rebellion
East African Campaign
British East Africa
Modern history
Zanzibar Revolution
Tanganyika
Ujamaa
Uganda–Tanzania War
Tanzaniaportalvt
Hamed bin Mohammed el Murjebi (1837 – 14 Juni 1905) amejulikana zaidi kwa jina la Tippu Tip. Alikuwa mfanyabiashara mashuhuri katika Afrika ya Mashariki na Kati wakati wa karne ya 19.
Babake alikuwa mfanyabiashara Mwarabu Muhammed bin Juma, mamake aliitwa Nyaso. Hamed aliingia katika shughuli za biashara tangu umri wa miaka 12 akafaulu katika biashara ya misafara kati ya Zanzibar na Kongo. Alipanga misafara ya mahamali waelfu akipeleka bidhaa kutoka Bagamoyo kupitia Tabora hadi Ujiji kwa Ziwa Tanganyika na ndani ya Kongo. Bidhaa alizobeba alitumia kujipatia pembe za ndovu na watumwa; watumwa walisaidia kubeba pembe za ndovu njia ya kurudi hadi pwani. Hemed alitajirika sana. Athira yake ilipanuka katika Kongo ya Mashariki hadi alitawala eneo kubwa sana.
Hamed akapata jina huko Ulaya kwa sababu alikutana na wasafiri na wapelelezi Wazungu kama David Livingstone, Veney Cameron, Henry Morton Stanley, Eduard Schnitzer (Emin Pascha), Hermann von Wissmann na Wilhelm Junker ambao mara nyingi walipata misaada muhimu kutoka kwake.
Wabelgiji walipoanza kujenga ukoloni wao Kongo walimkuta kama mtawala wa Kongo ya Mashariki wakapatana naye na kumpa cheo cha gavana ya Mkoa wa Chutes Stanley ("maporomoko ya Stanley", leo Kisangani) mwaka 1887 alichoshika kwa miaka michache.
Mabadiliko ya ukoloni yaliharibu biashara yake akarudi Zanzibar 1890/91 alipobaki bila misafari mipya hadi kifo chake mwaka 1905.
Jina lake linajulikana kama mfano kwa mabaya ya biashara ya watumwa iliyoharibu maeneo makubwa huko Kongo kabla ya mwanzo wa ukoloni. Yeye mwenyewe aliona watumwa ni sehemu tu ya biashara yake akitajirika hasa na biashara ya pembe za ndovu.
Hamed bin Mohammed el Marjebi amejipatia nafasi katika historia ya Afrika ya Mashariki kwa kuandika tawasifu au kumbukumbu ya maisha yake yeye mwenyewe. Katika lugha ya Kiswahili ni mfano wa kwanza wa tawasifu. Pia ni mfano wa pekee wa kumbukumbu ya kimaandishi ya matokeo ya siku zile zisizoandikwa na Mzungu lakini ny mwenyeji. Aliandika kwa lugha ya Kiswahili akitumia mwandiko wa Kiarabu.
Marejeo
Maisha ya Hamed bin Mohammed el Murjebi yaani Tippu Tip kwa maneno yake mwenyewe, kimefasiriwa na W.H. Whitely (toleo la Kiswahili - Kiingereza), East Africa Literature Bureau 1974
| https://sw.wikipedia.org/wiki/Hamed%20bin%20Mohammed%20el%20Murjebi |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
611,
930,
1321,
1409,
1740,
2274,
3453,
3948,
4392,
5260,
5681,
5828,
6176,
6655,
6786,
7102,
7539,
7663,
9208,
9640,
9695,
16426,
17225,
17564,
18227,
18382,
19136,
19603,
20263,
20304,
20779,
20999,
21358,
21733,
22219,
22554,
22873,
23353,
23458,
23687,
24066,
24191,
24256,
24419,
25418,
25926,
27079,
27671,
28053,
28649,
30232,
30962,
32333,
33274,
33778,
33856,
34810,
34854,
35353,
35432,
35474,
36002,
36061
],
"plaintext_end_byte": [
610,
905,
1320,
1408,
1732,
2273,
3452,
3910,
4391,
5259,
5680,
5811,
6175,
6626,
6772,
7101,
7513,
7622,
9191,
9639,
9694,
16425,
17224,
17553,
18226,
18381,
19135,
19602,
20225,
20303,
20778,
20998,
21357,
21707,
22218,
22553,
22856,
23352,
23457,
23686,
24065,
24190,
24236,
24418,
25417,
25925,
27078,
27670,
28043,
28648,
30216,
30961,
32332,
33245,
33777,
33845,
34767,
34853,
35352,
35430,
35473,
36001,
36060,
36560
]
} | アポロ誘導コンピュータの大きさは? | アポロ誘導コンピュータ | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
アポロ誘導コンピュータ(アポロゆうどうコンピュータ、Apollo Guidance Computer、AGC)とは、アポロ宇宙船の全航行機能を自動制御し、宇宙飛行士が飛行情報を確認/修正するために使われた、リアルタイム組み込みシステムである。ワード長16ビットで、データ15ビット、パリティ1ビットである。AGC上のソフトウェアの大部分はコアロープメモリと呼ばれる特殊なROMに格納されており、小容量の読み書き可能な磁気コアメモリをデータ格納用に備えている。
宇宙飛行士はDSKYと呼ばれる数値表示部とキーパッドから構成される装置でAGCとやりとりする。AGCとDSKYは、アポロ計画のためにMIT器械工学研究所で開発された。AGCは初期の集積回路を採用したコンピュータの1つである。
アポロの中のAGC
月への飛行には毎回2つのAGCを使った。ひとつは司令船で、もうひとつは月着陸船で使われた。指令船のAGCは誘導/航行システム (G&C) の中央部にあった。月着陸船のAGCでは(Primary Guidance, Navigation and Control System、一次誘導/航行/制御システム)が動作し、頭字語PGNCSを「ピングス」と発音した。
各ミッションでは他にもふたつのコンピュータを使用していた。
サターンV型ロケットのS-IVBにあるIBM製の航行コンピュータ(LDVC)
月着陸船のAbort Guidance System(AGS)というTRW製の小さな機械。AGSはPGNCSの障害が発生したときに使われ、月から離陸して司令船にドッキングするまでを制御する。着陸には使えない。
設計
チャールズ・スターク・ドレイパー率いるMIT器械工学研究所が設計を行った。ハードウェア設計責任者はである[1]。アーキテクチャ設計は、J.H. Laning Jr.、Albert Hopkins、Ramon Alonso[2][3]、Hugh Blair-Smith[4] が行った。実際に搭載したハードウェアはレイセオンが製造し、同社の Herb Thaler[2] がアーキテクチャ設計チームに加わっていた。マーガレット・ハミルトンがソフトウェアの監督・指導をつとめた。
アポロ誘導コンピュータは初期の集積回路(IC)を使って作られた。Block I バージョンは4,100個のICを使い、それぞれのICは3入力のNORゲートをひとつ構成していた。次の Block II バージョンは2つの3入力NORゲートをひとつのICで構成したものを2,800個使っている[1]:34。ICはフェアチャイルドセミコンダクター製で、RTLによる実装で、フラットパック (flat-pack) という形でパッケージされている。ICを複数搭載したモジュール同士はワイヤラッピングで相互接続している。モジュールを挿入するソケットから金属棒が出ていて、その金属棒にワイヤーを巻きつけて接続する。金属棒とワイヤーは高圧で押し付けられ、気密結合状態となるため、一般的な半田付けよりも信頼性が高い。配線完了後、ワイヤーはエポキシ樹脂で封止される。すべて同じICを使うことにより、初期のICを使った他のコンピュータ(ミニットマンミサイルの誘導コンピュータ)が悩まされた問題は発生しなかった。
コンピュータのRAMは磁気コアメモリ(2048ワード)でROMはコアロープメモリ(36Kワード)である。どちらもサイクル時間は11.72μ秒。メモリのワード長は16ビットで、そのうち1ビットはパリティビットである。
CPU内の16ビットワードは、14ビットデータと1ビットのオーバーフローフラグ、1ビットの符号フラグから成る(数値は1の補数表現)。
DSKYユーザインタフェース
ユーザインタフェースユニットはDSKY (display and keyboard) と呼ばれ、通常「ディスキー」と発音した。一連の指示灯、数値表示ディスプレイ、電卓型のキーボードから成る。コマンドは数字で入力され、Verb部とNoun部という2つの数値を入力する。Verb は動作の種類を指定し、Noun は Verb コマンドによって変更されるデータを指定する。
表示は高電圧エレクトロルミネセンス・ディスプレイであり、数字毎に7セグメントで表示され、それを並べて数字列を表している。セグメントは電気機械式リレーで制御されるため、表示の更新速度が制限される(Block IIではもっと高速なシリコン制御整流器が使われている)。3行の5桁の数字で八進数か十進数が表示される。この3つの数値で宇宙船の姿勢を表すベクトルを表示したり、必要な速度変化のベクトルを表示したりする。データは内部では国際単位系で保持されているが、表示は米国慣用単位(ヤード・ポンド法)を使っている。この電卓型インタフェースは[nb 1]、このタイプのものとしては世界初のデジタル制御パネルである。
司令船はふたつのDSKYを備えていた。ひとつはメイン計器パネルにあり、もうひとつは六分儀のそばに設置されて慣性誘導装置を調整するのに使われた。
月着陸船にはひとつのDSKYがAGCに接続されていた。指令船のメイン計器パネルと月着陸船のDSKYには、そのすぐ上にAGCが制御している航行指示装置 (FDAI) がある。
2009年、DSKY1台が Heritage Auctions にて一般向けオークションに出品され、50,788ドルで落札された[5]。
タイミング
AGCの駆動クリスタル周波数は2.048MHzである。クロックは分周されて4相の1.024MHzとしてAGC内で使われた。さらにそれを分周して512kHzの信号を生成し、これを「マスター周波数」と呼んだ。この信号はAGC以外のアポロ宇宙船のシステムを同期させるのに使われた。
マスター周波数はさらに分周され5分の1の102.4kHzの信号が作られる。これをさらに分周したF1(51.2kHz)からF17(0.78125Hz)の17種類の信号が作られる。F10(100Hz)はAGCに戻され、リアルタイムクロックとPINC(後述)を使った強制カウンターをインクリメントするのに使われる。F17はAGCがスタンバイモードの場合に定期的に動作させるのに使われた。
セントラルレジスタ
AGCは4本の16ビットレジスタを汎用的に使用した。これらをセントラルレジスタと呼ぶ。
A:アキュムレータ、一般に計算に使用される。Z:プログラムカウンタ、次に実行すべき命令のアドレスを保持する。Q:DV命令の剰余を保持する。またTC命令後のリターンアドレスを保持する。LP:MP命令後の積の下位ビット部分を格納する。
コアメモリには4つの場所があり(アドレス20-23)、ここに格納された値が自動的に1ビットシフトや1ビットローテートされるため "editing locations" と呼ばれた。なお、7ビット右シフトする場所はソフトウェアインタプリタが解釈する擬似命令コードを取り出すのに使われた。これはBlock I、Block IIに共通する。
その他のレジスタ
AGCには他にも処理の過程で使用するレジスタが存在する。
S:12ビットのメモリアドレスレジスタ。アドレスの下位ビットを保持Bank/Fbank:4ビットのROMバンクレジスタ。アドレッシングがfixed-switchableモードのときに1キロワードのROMバンク選択に使用Ebank:3ビットのRAMバンクレジスタ。アドレッシングがerasable-switchableモードのときに256ワードのRMバンク選択に使用Sbank (super-bank):Fbankを拡張する1ビットのレジスタ。ROMが全部で36キロワードであり、最後の4キロワード部分はFbank単独では指定できないため、その場合に使用する。SQ:4ビットのシーケンスレジスタ。現在の命令コード(オペコード)を保持G:16ビットのメモリバッファレジスタ。メモリに読み書きする(した)内容X:加算器への一方の入力。加算器は1の補数で計算。あるいはプログラムカウンタ(Z)をインクリメントする。Y:加算器へのもう一方の入力U:実際にはレジスタではなく、加算器の出力(X+Yの1の補数表現)B:汎用バッファ。命令プリフェッチにも使われる。命令を実行する際、Bレジスタの上位ビット(オペコード部分)をSQレジスタにコピーし、Sレジスタに下位ビット(オペランド=アドレス)をコピーする。C:独立したレジスタではなく、Bレジスタの1の補数表現である。IN:4つの16ビット入力レジスタOUT:5つの16ビット出力レジスタ
命令セット
命令フォーマットは3ビットがオペコードで12ビットがアドレスとなっている。Block Iは11種の命令、TC, CCS, INDEX, XCH, CS, TS, AD, MASK(基本)と SU, MP, DV(拡張)を持つ。先頭の8個は基本命令と呼ばれ3ビットオペコードで直接指定される。残り3個は拡張コード命令と呼ばれ、特別なINDEX命令(EXTENDと呼ぶ)の直後に実行される。
Block I AGC の命令の概要は以下のとおり。
TC (transfer control)
無条件分岐。サブルーチンコールにも使用。アドレス部で分岐先命令のアドレスを指定する。リターンアドレスは自動的にQレジスタに格納される。
CCS (count, compare, and skip)
複雑な条件分岐命令。まずアドレス部で指定された位置のデータをAレジスタにロードする。AGCは1の補数表現を採用しているので、ゼロには2つの表現がある。全ビットが0なら「正のゼロ」、全ビットが1なら「負のゼロ」を意味する。次にDABS (diminished absolute value) という値を計算し、Aレジスタに格納する。元の数値がゼロより大きければ、そこから1を引いた値がDABSであり、負の場合はその1の補数を求めてから(このため「絶対値; absolute value」と呼ぶ)1を差し引いてDABSを求める。"diminished" とは「デクリメントするがゼロより小さくしない」ということを意味する。従ってAGCがDABSを求める際、正の数値は正のゼロに近いほうに向かい、負の数値も同様だが、最初の正負判定の結果によって次に述べる4方向スキップを行う。CCS命令の最後の段階は4方向スキップであり、DABSを行う前のAレジスタの内容によってスキップの仕方が変化する。Aレジスタが0より大きい場合、CCS命令の直後の命令にスキップする(つまりスキップしない)。Aレジスタが正のゼロの場合、CCS命令から2つめの命令にスキップする。Aレジスタが負すなわちゼロより小さい場合、CCS命令から3つめの命令へスキップする。Aレジスタが負のゼロの場合、CCS命令から4つめの命令へスキップする。この命令の第一の用途は正の値のカウンタで制御されるループを形成することであり、CCS命令でループ終了を判断し、TC命令でループの先頭に戻る。ちょうど IBM 360 のBCT命令と等価である。絶対値を求める命令としても重要である。その場合、CCSの後に TC *+2, TC *+2, AD ONE と命令を続ける。奇妙な副次効果として CCS-holes と呼ばれるものがある。評価する値が決して正にならないと判っている場合、2ワードが決して実行されないことになるので、その2ワードにデータを配置できることになっている。
INDEX
命令のアドレス部の指す位置の内容を次の命令のアドレス部に加算する。INDEX命令は次の命令のオペランドをベースアドレスとし、それにインデックス値を加算(または減算)するのに使うことができる。配列やテーブル参照の実装に使用する。また、ワード全体を加算するので、次の命令のオペコードを書き換えるのにも使える。オペコードとオペランドを同時に書き換える使い方もないわけではない。
RESUME
INDEX命令の特別な場合 (INDEX 25)。割り込みからの復帰に使われる命令である。割り込まれた位置に戻って実行を再開する。
XCH (exchange)
Aレジスタの内容と指定したアドレスのメモリの内容を交換する。指定されたアドレスがROMの範囲内だった場合、メモリ側は書き換えられず、単にAレジスタへのロード命令として機能する。RAMの範囲だった場合、Aレジスタの左端ビットを符号ビットとしてオーバーフロー訂正が行われるが、TS命令のような例外的振る舞いはしない。
CS (clear and subtract)
指定されたアドレスのメモリの内容の1の補数をAレジにロードする。
TS (transfer to storage)
Aレジスタの内容を指定されたアドレスにストアする。多ワード長の加減算でキャリー伝播を行う手段としてオーバーフローを検出し訂正する。結果がオーバーフローしていない場合(Aレジスタの左端2ビットが同じ場合)、特に何もしない。オーバーフローが発生している場合(その2ビットが異なる場合)、左端のビットを符号ビットとしてメモリに転記し、Aレジスタの内容は必要に応じて+1または-1され、TS命令の次の命令をスキップする。オーバーフローが起き得る場合で、それが異常なイベントだという場合、TS命令の次にオーバーフローしない場合のコードへ分岐するTC命令を配置しておく。オーバーフローが正常なイベント(多ワード長加減算)の場合、TS命令の次に CAF ZERO(CAF命令とは、ROMへの XCH 命令)を配置し、キャリー(+1、0、-1)を次のワードのために用意する。角度は単精度(1ワード)、距離と速度は倍精度、経過時間が3倍精度で計算していた。
AD (add)
アドレス部で指定されたメモリの内容とAレジスタの内容を加算し、結果をAレジスタに置く。Aレジスタの左端2ビットが異なる場合、オーバーフローであることを意味する。加算を連続して行う場合、和がワードで表せる数値範囲の2倍を超えなければ、オーバーフローは単に状態として保持し続けることができる。
MASK
アドレス部で指定されたメモリの内容とAレジスタの内容についてビット単位の論理積 (AND)を求め、結果をAレジスタに置く。
MP (multiply)
アドレス部で指定されたメモリの内容とAレジスタの内容の乗算を行い、積の上位ワードをAレジスタ、下位ワードをLPレジスタに置く。それぞれの符号は一致している。
DV (divide)
Aレジスタの内容を被除数、アドレス部で指定されたメモリの内容を除数として除算する。商をAレジスタ、余りの絶対値をQレジスタに置く。現代のコンピュータとは異なり、数値は固定小数点数の仮数(符号ビットのすぐ右に小数点があるものとされる)として扱われるので、除数が被除数より大きくないと不正な結果が得られる。この場合の対策はとられていなかった。Block II AGC では、AレジスタとLPレジスタを使った倍精度の除算を行い、正しく符号がつけられた余りがLPレジスタに置かれた。これによって倍精度除算のサブルーチンが大幅に単純化された。
SU (subtract)
アドレス部で指定されたメモリの内容をAレジスタから減算し、結果をAレジスタに置く。
命令の実装はグループ化された12のステップでなされており、そのステップを「タイミングパルス」と呼ぶ。タイミングパルスはTP1からTP12まである。12のタイミングパルスのそれぞれのグループを命令の「サブシーケンス」と呼ぶ。TC命令のような単純な命令では、12のタイミングパルスを1つのサブシーケンスとして実行する。複雑な命令ではいくつかのサブシーケンスを必要とする。乗算命令 (MP) は8個のサブシーケンスを使用する。最初のサブシーケンスを MP0 と呼び、次の MP1 サブシーケンスは6回反復され、MP3 サブシーケンスで完了する。Block II ではこれが3サブシーケンスに短縮された。
サブシーケンス内の各タイミングパルスは最大5個の「コントロールパルス」を発生できる。コントロールパルスは命令の実際の動作を行わせる信号であり、レジスタの内容をバスに送り出したり、バス上の内容をレジスタに取り込んだりする。
メモリ
Block I AGCのメモリは1024ワードのバンクから成る。最も低いバンク(バンク0)はRAMであり、それ以外はROMである。各AGC命令には12ビットのアドレスフィールドがあり、下位10ビットでバンク内のアドレスを表す。ビット11と12でバンクを表し、00がRAMバンク、01がバンク1、10がバンク2を示す。11はBankレジスタの内容でバンクを指定することを意味する。バンク1とバンク2は常に直接使用可能であるため、"fixed-fixed"メモリと呼ばれる。バンク3およびそれ以上のバンクは"fixed-switchable"メモリと呼ぶ。
Block I AGCは当初12KワードのROMを持っていたが、後に24Kに拡張された。Block II は32KワードのROMと4KワードのRAMを持つ。
AGCはメモリサイクルと呼ばれる処理でGレジスタ経由でメモリとやり取りする。メモリサイクルはタイミングパルス12個分を要する(11.72μ秒)。TP1でフェッチすべきメモリアドレスをSレジスタにロードする。メモリ回路がSレジスタで指定されたアドレスに対応するメモリからデータを読み出す。RAMから読み出したワードはTP6の時点でGレジスタに格納され、ROMから読み出したワードはTP7の時点でGレジスタに格納される。読み出してきたメモリワードはTP7からTP10の間、Gレジスタで使用可能となっている。TP10を過ぎるとGレジスタの内容はメモリに書き戻される。
AGCのメモリサイクルはAGC動作中は連続的に行われている。メモリ上のデータを必要とする命令は、TP7からTP10の間にアクセスしなければならない。AGCがGレジスタの内容を書き換えると、書き換えた内容がTP10以降にメモリに書き込まれる。このようにして常にメモリサイクルが機能しており、メモリとGレジスタの間でデータがやり取りされている。
各メモリワードの下位15ビットが命令またはデータとして使用される。最上位ビットはパリティビットであり、データの保護に使用される。パリティビットはワード内の1の個数が常に奇数になるよう、データの内容によりパリティ生成回路で1か0に設定される。パリティチェック回路はパリティビットとデータの内容が合っているかをチェックする。もし合っていない場合そのメモリワードは壊れたと判断され、操作パネルの PARITY ALARM というライトが点灯する。
割り込みと強制的カウンタ
AGCは5種類の割り込みを扱う。
DSRUPTはユーザディスプレイ (DSKY) のアップデートインターバル毎に発生する
ERRUPTはハードウェアの障害や警告の場合に発生する
KEYRUPTはユーザキーボードのキーが押されたときに発生する。
T3RUPTはAGCのリアルタイムクロックをアップデートするタイミングで定期的に発生する。
UPRUPTは16ビットのアップリンクデータがAGCにロードされたときに発生する。
AGCは割り込みが発生すると、それまで実行していたプログラムの実行を中断し、短い割り込みサービスルーチンを実行して、割り込まれたプログラムに復帰する。
AGCは20個の強制カウンタを持っている。それらはメモリの固定の場所に存在し、アップ/ダウンカウンタとシフトレジスタとして機能する。インクリメント(PINC)、デクリメント(MINC)、シフト(SHINC)は通常の命令と命令の間に挿入されるマイクロ命令によって実行される。
割り込みはカウンタがオーバーフローしたときに発生する。T3RUPTとDSRUPTはこのPINCオーバフローの発生をトリガーとして発生する。UPRUPTはSHINCで16ビットぶんシフトしたときに発生する。これはAGCへのアップリンクデータが16ビットシフトし終わったことを示す。
スタンバイモード
AGCは STANDBY ALLOWED スイッチを使ってパワーセービングモードに移行する。このモードはAGCの電源を切り、2.048MHzのクロック(およびその分周クロック)だけを発生させる。分周クロックの1つであるF17信号により、1.28秒間隔でAGCの電源が入る。そこでAGCは STANDBY ALLOWED スイッチの状態をチェックし、もしまだそのモードならば再び電源を切って次のF17信号を待つ。
スタンバイモードではAGCは眠っているので、PINCを実行してリアルタイムクロックをインクリメントすることができない(通常は10ミリ秒単位でインクリメント)。その代わりとして、F17信号で起きたときにリアルタイムクロックを1.28秒ぶん進める。
スタンバイモードは慣性飛行中AGCを使わないときに電力消費を抑えるために設けられた。通常70Wの電力消費が5Wから10Wに低減される。しかし、実際にはAGCは飛行中ずっと使われ、スタンバイモードが使われることはなかった。
データバス
AGCは16ビットのリードバスと16ビットのライトバスを持つ。セントラルレジスタ(A、Q、Z、LP)や他の内部レジスタの内容は制御信号によってリードバスに出力される。リードバスとライトバスは非反転バッファでつながっているのでリードバスに出力された内容はライトバスでも観測される。別の制御信号によりライトバスの内容がレジスタに書き込まれる。
データ転送の例:次の命令のアドレスをBレジスタからSレジスタに移動する。
RB(リードB)信号を送信
Bレジスタの内容をリードバスに出力
次いで、それがライトバスに出力される
WS(ライトS)信号を送信
ライトバス上のデータをSレジスタに格納
いくつかのレジスタをリードバス上に同時に出力することができる。これが起きるとレジスタの内容が論理和(OR)演算されたビット列がバス上に現れる。これを使ってMASK命令(論理積)を実装している。AGC本体はビット反転ができるので(Cレジスタ)、ド・モルガンの定理に従い、
ふたつのオペランドを反転(NOT)し
それらをバスに同時に出力して(OR)
結果を再度反転(NOT)する
これでANDに相当することになる。
ソフトウェア
AGCの要求仕様が定義されたとき、必要なソフトウェアやプログラミング技法は存在せず、一から設計する必要があった。
AGCのソフトウェアはAGCアセンブリ言語で書かれ、コアロープメモリに格納された。
それは単純なリアルタイムオペレーティングシステムであり、最大8個のジョブをバッチジョブスケジューリングシステム(EXEC)で走行させることができる。これにはプリエンプティブでないマルチタスクが使われる(各ジョブは定期的にEXECに制御を戻す必要があり、優先度のより高いジョブが待ち状態になっていないかチェックされる)。また、割り込み駆動型コンポーネントWAITLISTもあり、複数のタイマー駆動型タスクをスケジュールする。タスクは短いスレッドからなり、実行が終了するときにWAITLISTに自分を再実行してもらうようスケジュールしてもらう。あるいは、割り込み処理の中からEXECに対してもっと長いジョブの実行を指示することもできる。
EXECのジョブは優先度制御される。最も優先度の低いダミージョブが常に存在している。ダミージョブが診断チェックを行い、DSKYの COMPUTER ACTIVITY という緑色ランプを制御する。ダミージョブが動作中ということはAGCが何もすることがないことを意味するので、そのランプは消灯される。ダミージョブは優先度の高いジョブがあると中断され、COMPUTER ACTIVITY ランプを点灯させる。
AGCはMITで開発された洗練されたソフトウェアインタプリタを持っていて、もっと複雑で使いやすいマシンを仮想的に実現している。これは8ビット以上の精度を必要とする航行計算で使われた。この仮想マシンは倍精度のスカラーとベクターを扱うことができ、さらには行列とベクトルの積を求める MXV 命令もあり、それらの命令をAGC本来のコードに混ぜて使うことができる。それら擬似命令を使うとインタプリタがそれをAGCの多数の命令に展開するため余計な時間がかかるが、コードに擬似命令を使うことでプログラムの大きさを縮小する効果があった。当時はメモリ搭載量が何よりも大きな制限だったため、擬似命令はよく使われている。擬似命令の平均実行時間は24ミリ秒である。初期のプロトタイプである Christmas Computer のアセンブラ兼バージョン管理システムは YUL と呼ばれ[6]、ネイティブコードとインタプリタコードの正しい変換を行っていた。
割り込みベースのユーザインタフェースルーチン群 PINBALL によってキーボードとディスプレイを制御する。PINBALLには宇宙飛行士が任意のアドレスのメモリの内容やレジスタの内容を(8進数または10進数で)表示するための機能もある。モニター相当のルーチンもあるので、定期的に特定のメモリの内容を表示させることも可能である。ジョブを起動することもできる。PINBALLはおおざっぱに言ってしまえばUNIXのシェルと同じことができる。
ソフトウェアの大部分は書き換えできないコアロープメモリに置かれていたが、重要な部分は読み書き可能な磁気コアメモリに置かれていた。このため、DSKYインタフェースを使って宇宙飛行士がプログラムを上書きすることも可能であり、アポロ14号で実際にそれが行われた。
Block II
Block II バージョンのAGCは1966年に設計された。Block I のアーキテクチャを踏襲したがRAMを1Kワードから2Kワードに拡張している。ROMも24Kワードから36Kワードに拡張されている。命令も11種から34種に拡張され、Block I の入出力関連のレジスタ群が入出力チャネルに置き換えられた。実際に最初に月まで行ったAGCは Block II である。Block I バージョンは無人飛行のアポロ4号から6号までと、事故を起こしてキャンセルされたアポロ1号に装備されていた。
Block II でメモリと命令セットを拡張することが決定されたが、Block I の制限の多い3ビットのオペコードと12ビットアドレスという構成が変わらなかったのは興味深い。様々なトリックを使って命令が追加された。例えばある特定のメモリアドレスに参照アクセスすると特定の機能が動作するなどといったことである。実際、前述したようにアドレス25に対するINDEX命令は割り込みからの復帰を意味していた。同様に、INDEX 17 を実行するとINHINT命令(割り込み禁止)を意味し、INDEX 16 は逆に割り込み許可(RELINT)を意味した。他の命令は特別なINDEX命令であるEXTEND命令を使って実装された。EXTEND命令はオーバーフロービットを使って3ビットのオペコードを拡張する。アドレス空間を拡張するためにBank(固定)とEbank(拡張RAM用)レジスタが使われた。ある時点でアクセスできるメモリバンクは、これらのレジスタを使わずにアクセスできる先頭の3バンクと、Bankの指すバンクとEbankの指すバンクだけであった。さらにBankレジスタが指定できる範囲を超えてROMが実装されたためにSbankレジスタが最後の4Kワードにアクセスするのに使われた。バンクをまたがるサブルーチンコールでは、いったんfixed-fixedメモリを経由してコール元のバンクをセーブ/リストアする必要があった。
PGNCSの障害
PGNCSはアポロ11号による最初の月への降下の際に動作不良となった。そのときAGCは1201 alarm(実行オーバーフロー - 空き領域無し)と1202 alarm(実行オーバーフロー - コアセット無し)を示していた[7]。どちらの場合もレーダーから不正なデータが大量に送られてきサイクルスチールが起きたことが原因で、降下の間はこれを放置した[8][9]。エラーによりコンピュータ内の実行中タスクは中断されたが、レーダーの周波数データによればアボート信号が発生したのはCPUが処理しきれない頻度のデータが入ってきたためであることは明らかだった。
着陸時、AGCは通常85%の負荷となる予定だった。その際に使われていない毎秒6400サイクルが13%の負荷に相当し、着陸完了までにスケジュールされているタスクの実行には十分な時間だった。下降を開始して5分後、バズ・オルドリンはDSKYに1668というコマンドを打ち込んだ。これはDELTAH(レーダーで計測した高度とコンピュータが計算した高度の差)を計算して表示させるコマンドである。これによって10%の負荷が追加され、1202アラームが発生した。ヒューストンからの「GO」の指示を受けて、オルドリンは再び1668コマンドを打ち込み、もう一度1202アラームが発生した。このアラームを報告したときオルドリンは「1668を打ち込むとこれが起きる」のではないかとコメントしている。幸いなことに、AGCは優先度制御でスケジューリングされていた。そのため、AGCは優先度の低い1668表示タスクを削除し、重要な誘導・航行タスクを完了させるべくスケジュールし、自動的に回復した。管制官らは何度か「GO」を指示し、着陸は成功した。ベールズは管制チームと宇宙飛行士たちを代表して大統領自由勲章を授与された[10]。
この問題はAGCのバグではなく、宇宙飛行士の間違いでもない。周辺機械設計の問題であり、アポロ5号の技術者が既に指摘し、文書を残していた[11]。しかし問題は試験中に起きただけであり、試験済みの装置を使うほうが新たなレーダーシステムを設計するよりも安全だと結論付けていた。実際のハードウェアでは、ドッキング用レーダーの位置は800Hzの交流で駆動されるシンクロで数値化されるが、これとは別にAGCがタイミング参照に使う800Hzのクロック信号がある。この2つの800Hz信号は同期しておらず、微妙なずれが生じるためにレーダーが動いていないにも関わらずディザによって急速に動いたように見えた。この幻の動きが一連の急速なサイクルスチールの原因である。
アポロ以外での利用
AGCは、F-8クルセイダーを使ったフライ・バイ・ワイヤシステム実証実験機でも使われた。AGCは計画の第一段階で使われ、第二段階では別のシステムに置換されている。この研究成果がスペースシャトルのフライ・バイ・ワイヤ・システム開発に生かされた。また間接的には、当時開発されていた次世代戦闘機のフライ・バイ・ワイヤ・システムの開発にも貢献している[12]。
AGCはアメリカ海軍の深海救難艇でも使われた[13]。
その他
当時の地上用の制御用コンピュータよりも性能は劣るが、宇宙船に搭載するコンピュータは、最新鋭のものよりも信頼性重視で「枯れた技術」が好まれる。特に宇宙線による動作エラーや素子劣化を起こしにくい耐放射線性(Rad-Hard)の半導体は一般にプロセス・ルールの大きい、余り微細化しない半導体素子を用いる傾向がある。現在においても市販の最新コンピュータより「低性能」なものが搭載されるのが普通である。
日本のロケット工学博士の糸川英夫が『逆転の発想』(プレジデント社、1974年)で、アポロ11号の航法コンピュータ停止の危機に対応した様子を、機械の修理ではなく別の方法で危機を乗り切った「発想の転換」の例として、当時の様子を紹介している。
脚注
出典
資料・外部リンク
AGCおよびその開発に関する文書:
– 命令セットに関する公式文書
– By James Tomayko (Chapter 2, Part 5, "The Apollo guidance computer: Hardware")
– By James Tomayko
(PDF) – By David Scott, アポロ飛行士の1人
(PDF) – By José Portillo Lugo, History of Technology
– 包括的な文書アーカイブがある。
- 着陸船のAGCについて(注意:622MB)
- 指令船のAGCについて(注意:83MB)
– AGCのシステムプログラマがAGC開発について詳細に語っている。
AGC ハードウェア設計、特に集積回路の採用に関する文書:
AGC ソフトウェアに関する文書:
- アポロ15号で使われたソフトウェアに関するマニュアル。ユーザインタフェースの解説はもちろんのこと、アルゴリズムやハードウェアの制限についても説明されている。なお、500ページ以上あり、150MB以上</b>の巨大なファイルなのでアクセスの際には注意されたい。
Stengel, R., , J. Spacecraft and Rockets, Vol. 7, No. 8, Aug 1970, pp.941–948.
for Command Module code (Comanche054) and Lunar Module code (Luminary099) as text.
AGCを再現するプロジェクトやシミュレータ:
– John Pultorak が Block I AGC のハードウェアを自宅で再現したプロジェクト。ミラーサイトとして もある。
– Ronald Burkey の AGC シミュレータ。
– スペースフライトシミュレーター Orbiter のアドオン。AGCをシミュレートしてアポロの指令船と月着陸船のシミュレーションを実現することを目的としている。
アポロ12号の月面着陸シミュレーション(シェアウェア、Windows)
特集記事:
(BBC News)
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E3%82%A2%E3%83%9D%E3%83%AD%E8%AA%98%E5%B0%8E%E3%82%B3%E3%83%B3%E3%83%94%E3%83%A5%E3%83%BC%E3%82%BF |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
1084,
3139,
4265,
5566,
5964,
6370,
7146,
7510,
7866,
9493,
10010,
10176,
10496,
10962,
12343,
13109,
14369,
14742,
15000,
15364,
15598,
15999,
16208,
16333,
18048,
18908,
19021,
19744,
19901,
21284,
21368,
21559,
21625,
23031,
24171,
24629,
24950,
25660,
26198,
26796,
27186,
27791,
28405,
29069,
29486,
30144,
30701,
31024,
31372,
31662,
32106,
32646,
33022,
34798,
36128,
36197,
36293,
36464,
36898,
37506,
37759,
38277,
38413,
38794,
39254,
39671,
39954,
40149
],
"plaintext_end_byte": [
1016,
3099,
4264,
5518,
5947,
6344,
7119,
7509,
7839,
9417,
10009,
10096,
10464,
10961,
12342,
13108,
14368,
14741,
14971,
15363,
15597,
15817,
16207,
16302,
18009,
18869,
19020,
19743,
19804,
21090,
21367,
21541,
21595,
23005,
24144,
24628,
24917,
25630,
26165,
26766,
27115,
27773,
28387,
29030,
29462,
30129,
30677,
31000,
31354,
31647,
32105,
32623,
32979,
34769,
36127,
36196,
36292,
36356,
36875,
37420,
37758,
38231,
38412,
38650,
39253,
39625,
39933,
40070,
40262
]
} | 2017 నాటికి సోంపేట మండలంలో ఎన్ని ప్రభుత్వ పాఠశాలలు ఉన్నాయి? | శ్రీకాకుళం జిల్లా | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
శ్రీకాకుళం జిల్లా భారత దేశములోని ఆంధ్ర ప్రదేశ్ రాష్ట్రంలో ఈశాన్య సరిహద్దులో ఉంది. జిల్లా ముఖ్యపట్టణమైన శ్రీకాకుళం (అక్షా:
18
o
{\displaystyle 18^{\mathrm {o} }}
18' ఉ, రేఖా:
83
o
{\displaystyle 83^{\mathrm {o} }}
54' తూ) నాగావళి నది ఒడ్డున ఉంది. విశాఖపట్నం జిల్లా నుంచి 1950 ఆగష్టు 15 న శ్రీకాకుళం జిల్లా ఏర్పడింది. విశాఖపట్నం జిల్లా లోని కొంత భాగం, శ్రీకాకుళం జిల్లా నుంచి మరి కొంతభాగం కలిపి 1979 జూన్ 1 న విజయనగరం జిల్లా ఏర్పడింది
జిల్లా పేరు వెనుక చరిత్ర
బ్రిటిషు వారు శ్రీకాకుళం పేరును పలకలేక "చికాకోల్" అనేవారు. చికాకోల్ కు సంబంధించిన మరో కథనం ఇలాఉంది: ఈ ప్రాంతం నైజాము ఆధిపత్యంలో ఉండే సమయంలో ఈ ఊళ్లోనే ప్రతి సంవత్సరం జమాబందీ నిర్వహిస్తూ రైతుల వద్ద నుండి పన్నులు వసూలు చేసేవారు. రైతులు తాము కట్ట వలసిన పన్ను సొమ్మును విచ్చు రూపాయల రూపంలో చిన్నచిన్న గుడ్డసంచులలో పోసి, మూటకట్టి, ఆమూటను తీసికొనివచ్చి ఖుద్దున సమర్పించేవారు. ఆ మూట లోని సొమ్ము సరిగా ఉందో లేదో చూసుకోవడానికి మూటను విప్పాలి. ఆ మూటలు చాలా ఉంటున్నందువలన, ఆ మూటల మూతికట్టు విప్పమని రైతులతో చెప్పడానికి "శిఖా ఖోల్" అనేవారు. అంటే "మూతికట్టువిప్పు" అని అర్థం. ఈమాట క్రమంగా "చికా కోల్" అయి, శ్రీకాకుళంగా స్థిరపడిందిట.
ఆంధ్రప్రదేశ్ పూర్వపు ముఖ్యమంత్రి ఎన్ టి రామారావు జిల్లాలోని టెక్కలి నియోజకవర్గం నుండి ఆంధ్రప్రదేశ్ శాసనసభకు ప్రాతినిధ్యం వహించారు.
జిల్లా చరిత్ర
ఒకప్పుడు ఇది బౌద్ధమతానికి ముఖ్యస్థానంగా వర్ధిల్లింది. శాలిహుండం, దంతపురి, జగతిమెట్ వంటి బౌద్ధారామం|బౌద్ధారామాలు ఇక్కడ కనుగొనబడ్డాయి. తరువాత ఇది కళింగ సామ్రాజ్యంలో భాగంగా ఉండేది. గాంగేయులు ఈ ప్రాంతాన్ని 6 నుండి 14వ శతాబ్దం వరకు, 800 సంవత్సరాలు పాలించారు. వజ్రహస్తుడు|వజ్రహస్తుని కాలంలో ప్రసిద్ధి చెందిన శ్రీ ముఖలింగం ఆలయాన్ని నిర్మించారు. మహమ్మదీయుల పాలన కాలంలో షేర్ మహమ్మద్ ఖాన్ శ్రీకాకుళంలో జామియా మసీదు నిర్మించాడు.
విశాఖపట్నం జిల్లాలో భాగంగా ఉండే ఈ జిల్లా 1950 ఆగష్టు 15న ప్రత్యేక జిల్లాగా అవతరించింది. 1969లో ఈ జిల్లానుండి సాలూరు తాలూకాలోని 63 గ్రామాలు, బొబ్బిలి తాలూకాలోని 44 గ్రామాలను విశాఖపట్నం జిల్లాలో కొత్తగా ఏర్పరచిన గజపతి నగరం తాలూకాకు బదలాయించారు. మళ్ళీ మే 1979లో కొత్తగా విజయనగరం జిల్లాను ఏర్పరచినపుడు సాలూరు, బొబ్బిలి, పార్వతీపురం, చీపురుపల్లి తాలూకాలను కొత్తజిల్లాలో విభాగాలుగా చేశారు.
ఆంధ్ర ప్రదేశ్ లో నక్సలైటు (మావోయిస్టు పార్టీ) ఉద్యమం ప్రారంభమయింది శ్రీకాకుళం జిల్లాలోనే.
నైసర్గిక స్వరూపం
శ్రీకాకుళం జిల్లా
మొత్తం జిల్లా వైశాల్యం 5837 చ.కి.మీ. జిల్లాకు 193 కి.మీ. సముద్ర తీరం ఉంది. తూర్పు కనుమలు ఈశాన్యం నుండి కొంతభాగం విస్తరించి ఉన్నాయి.
నదులు
నాగావళి, వంశధార, మహేంద్ర తనయ, చంపావతి, బహుదా, కుంభికోటగెడ్ ఇవి జిల్లాలలో ముఖ్యమైన నదులు. ఇవి తూర్పు కనుమలలో పుట్టి బంగాళాఖాతంలో కలుస్తున్నాయి.
వాతావరణం
సంవత్సరంలో ఎక్కువకాలం వాతావరణం తేమగా ఉంటుంది. నైఋతి ఋతుపవనాలు జూన్ నుండి సెప్టెంబరు వరకు, ఈశాన్య ఋతుపవనాలు అక్టోబరు - నవంబరు మాసాలలోను వర్షాలు కురిపిస్తాయి. డిసెంబరు నుండి ఫిబ్రవరి వరకు పొడిగాను, చల్లగాను ఉంటుంది. సంవత్సరం సగటు వర్షపాతం 1162 మి.మీ. (2004-2005 సంవత్సరంలో వర్షపాతం 937.6 మి.మీ.)
వన్య సంపద
జిల్లాలోని అడవుల సాంద్రత, వృక్ష జాతులు ప్రాంతాన్ని బట్టి వైవిధ్యం కలిగి ఉన్నాయి. ప్రధానంగా ఇక్కడి అడవులను రెండు రకాలుగా చెప్పవచ్చును.
దక్షిణ భారత Moist deciduous అడవులు - మిశ్రమ అడవులు, మద్ది అడవులు మరియు పర్వత సవాన్నా భూములు.
దక్షిణ భారత సతత హరిత అడవులు (dry ever-green miscellaneous forests)
జంతు సంపద
శ్రీకాకుళం జిల్లాలో అటవీ మృగాలు అల్పంగా ఉన్నాయి. జనావాసాల విస్తరణ, అడవుల నాశనం ఇందుకు కారణాలు కావచ్చును. మాంసాహార మృగాలలో పులి దాదాపు అంతరించింది. చిరుత పులి, హైనా (దుమ్ములగొండి), తోడేలు వంటి జంతువులు అరుదుగా అడవుల్లో కనిపిస్తుంటాయి. గుంటనక్క, అడవిపిల్లులు మరియు కుక్కలు జిల్లాలో కనిపించే ఇతర మాంసాహార జంతువులు. శాకాహార జంతువులలో - somber మరియు మచ్చల దుప్పి (చితాల్), అడవి గొర్రెలు, ఎలుగుబంట్లు సాధారణంగా కనిపిస్తాయి. ఈ ప్రాంతంలో కృష్ణజింక, నీలగాయ్ మరియు బైసన్లు అసలు కనిపించకపోవడం గమనార్హం. పక్షి జాతులలో - నెమళ్ళు, కౌజులు, పావురాలు, చిలకలు, మైనా partridges,
బాతులు doves వంటివి అధికంగా ఉన్నాయి..
భౌగోళిక స్వరూపం
సరిహద్దులు
ఉత్తరాన ఒడిషా రాష్ట్రము, దక్షిణ-పశ్చిమాల్లో విజయనగరము జిల్లా, ఒడిషా గజపతి జిల్లా, తూర్పున బంగాళాఖాతము ఉన్నాయి. జిల్లాకు కొంత భాగం హద్దులుగా కందివలస గెడ్], వంశధార, బహుదా నదులు ప్రవహిస్తున్నాయి.
మొత్తం జిల్లా వైశాల్యం 5837 చ.కి.మీ.
ఆర్ధిక స్థితి గతులు
వ్యవసాయం
జిల్లాలో ముఖ్య పంటలు- వరి, రాగులు, పెసలు, మినుములు, ఉలవలు, చెరకు, జనుము, వేరుశనగ, నువ్వులు, మిరప, పసుపు, నీరుల్లి.
నీటివనరులు
శ్రీకాకుళం జిల్లాలో బాహుద, ఉత్తర మహేంద్ర, తనయ, బెంజిగడ్డ, వరహాలు గడ్డ, వంశధార, నాగావళి, పెద్దగడ్డ, కందివలస అనే 9 నదులు ఉన్నాయి. వీటిలో నాగావళి, వంశధార, మహేంద్ర తనయ ముఖ్యమైన నదులు.
[1] జిల్లాలో ఈశాన్య ఋతుపవనాల ద్వారా 26.47%, నైఋతి ఋతుపవనాల ద్వారా 62.61% వర్షాలు లభిస్తాయి. మూడు ముఖ్య నదుల ద్వారా జరుగుతున్న నీటి వినియోగం: నాగావళి 371 మి.క్యూ.మీ. (మిలియన్ క్యూబిక్ మీటర్లు) (36%), వంశధార 121 మి.క్యూ.మీ. (12%), మహేంద్ర తనయ 81 మి.క్యూ.మీ. (8%), చిన్న చెరువులు 140 మి.క్యూ.మీ. (14%), భూగర్భ జలాలు 300 మి.క్యూ.మీ. (30%). మొత్తం 1,013 మి.క్యూ.మీ. రాష్ట్రంలో రెండు ప్రధాన జలాశయాలు సుమారు 140 మి.క్యూ.మీ. నీటిని వ్యవసాయ నిమిత్తం సమకూరుస్తున్నాయి. అవకాశం ఉన్న నీటిలో 91% (5,763 మి.క్యూ.మీ.) బంగాళాఖాతంలోకి వృధాగా పోతున్నదని అంచనా. 9% నీరు మాత్రమే భూగర్భంలోకి ఇంకుతున్నది.
జిల్లాలో 3.3 లక్షల (0.33 మిలియన్) హెక్టేరులు భూమి సాగులో ఉంది. అందులో 1.9 లక్షల హెక్టేరులకు సాగునీటి వసతి ఉంది. కాలువల ద్వారా 91,946 హెక్టేరులు, చెరువుల ద్వారా 80,123 హెక్టేరులు, బోరు బావుల ద్వారా 6,923 హెక్టేరులు, ఇతర బావుల ద్వారా 8,866 హెక్టేరులు, ఇతర వనరుల ద్వారా 5,316 హెక్టేరులు భూమికి సాగునీరు లభిస్తున్నది.
అనిశ్చితమైన వర్షపాతం జిల్లాలో ప్రధాన సమస్య. చాలా సంవత్సరాలు అనావృష్టి సంవత్సరాలుగా పరిగణింపబడుతున్నాయి. అలాగే త్రాగు నీటి సమస్య కూడా తీవ్రంగానే ఉంది. ఫ్లోరోసిస్ సమస్య కూడా కొన్నిచోట్ల ఉంది. నీటి వనరులను పరిరక్షించే విధానాలు లేకపోవడం, ఏజెన్సీ ప్రాంతంలోని "పోడు" వ్యవసాయం ఇందుకు ముఖ్యమైన కారణాలు. జిల్లాలో ఎక్కువ భాగం నేల ఉపరితలం గట్టిగా ఉన్నందున నీరు ఇంకే అవకాశం తక్కువ. అందుకు తోడు అధిక భూభాగం వాలుగా ఉన్నది గనుక నీరు నిలవదు. వరి, చెరకు పంటలకు ఎక్కువ నీటిని వాడుతారు.
జిల్లాలో ముఖ్యమైన ప్రాజెక్టులు: నారాయణపురం డామ్ (మద్దివలస రిజర్వాయిర్, నాగావళి), గొట్టా బారేజి (వంశధార), కళింగాంధ్ర ప్రాజెక్టు (మహేంద్ర తనయ)
మచిలేశం, కళింగపట్నం, నువ్వలరేవు, భావనపాడు, బారువలు ముఖ్యమైన మత్స్య పరిశ్రమ కేంద్రాలు.
పరిశ్రమలు
జిల్లాలో మాంగనీసు, గ్రాఫైటు, సున్నపు రాయి, మైకా, గ్రానైట్, జిల్లా తీరప్రాంతంలోని ఇసుకలో మోనజైట్ మరియు ఇతర ఖనిజాలు సమృద్ధిగా దొరుకుతాయి.
జిల్లాలో ముఖ్యపరిశ్రమలు: చక్కెర, నూనె, జీడిపప్పు, జనపనార, పేపర మిల్లు కర్మాగారములు కలవు
పైడిభీమవరం, రాజాం, మడపాం, ఆమదాలవలస, సంకిలి పట్టణాలలో పరిశ్రమలు విస్తరిస్తున్నాయి.
డివిజన్లు లేదా మండలాలు, నియోజక వర్గాలు
రెవెన్యూ డివిజన్లు, మండలాలు
జిల్లా మూడు రెవిన్యూ డివిజన్లుగా విభజింపబడింది: శ్రీకాకుళం, టెక్కలి, పాలకొండ
మొత్తం 38 రెవిన్యూ మండలాలు ఉన్నాయి.[2]
1 వీరఘట్టం మండలం14 భామిని మండలం27 టెక్కలి మండలం2 వంగర మండలం15 కొత్తూరు మండలం28 కోటబొమ్మాళి మండలం3 రేగిడి ఆమదాలవలస మండలం16 హీరమండలం మండలం29 సంతబొమ్మాళి మండలం4 రాజాం మండలం17 సరుబుజ్జిలి మండలం30 నందిగం మండలం5 గంగువారి సింగడాం మండలం18 ఆమదాలవలస మండలం31 వజ్రపుకొత్తూరు మండలం6 లావేరు మండలం19 శ్రీకాకుళం మండలం మండలం32 పలాస మండలం7 రణస్థలం మండలం20 గార మండలం33 మందస మండలం8 ఎచ్చెర్ల మండలం21 పోలాకి మండలం34 సోంపేట మండలం9 పొందూరు మండలం22 నరసన్నపేట మండలం35 కంచిలి మండలం10 సంతకవిటి మండలం23 జలుమూరు మండలం36 కవిటి మండలం11 బూర్జ మండలం24 సారవకోట మండలం37 ఇచ్ఛాపురం మండలం12 పాలకొండ మండలం25 పాతపట్నం మండలం38 లక్ష్మీనరసుపేట మండలం13 సీతంపేట మండలం26 మెళియాపుట్టి మండలం
రవాణా వ్వవస్థ
రోడ్డు మార్గాల ద్వారా వివిధ ప్రాంతాలకు చక్కగా కలపబడి ఉంది. విశాఖపట్నం, దగ్గరలోని విమానాశ్రయము.ఇది రెవెన్యూ డివిజన్ కేంద్రస్థానమైనా రైలుస్టేషను లేదు.10 కి.మీ.లోని శ్రీకాకుళం రోడ్ స్టేషనుకు వెళ్ళాలి.APSRTC ప్రభుత్వ సంస్ధ ద్వారా జిల్లా కేంద్రం నుండి ఇతర మండల.జిల్లా.రాష్ట్రాలకు వివిధ సర్వీస్ లు నడపబడుచున్నాయ్.
జనాభా లెక్కలు
2011 జన గణన ప్రకారం ప్రధాన వివరాలిలా ఉన్నాయి
2001-2011 దశకంలో జనాభా వృద్ధి రేటు: 6.52% (మొత్తం రాష్ట్రం వృద్ధి రేటు 14.44%)
జనసాంద్రత: చ.కి.మీ.కు 463 మంది (రాష్ట్రం జనసాంద్రత 308)
అక్షరాస్యులు మగవారిలో 8,57,824 (71.61%), ఆడువారిలో 6,37,557 (52.08%)
పట్టణ ప్రాంతాల జనాభా 4,36,703 లేదా 16.16% (రాష్ట్రం మొత్తంలో పట్టణ జనాభా 27.35%)
శ్రామికులు: 48.6% (ఇందులో 78% వ్యవసాయం, 15% సేవల రంగం).
(2011 జనాభా లెక్కల సాయంతో)
శ్రీకాకుళం జిల్లా జనాభా [3]
సంస్కృతి
ప్రధాన భాష తెలుగు. అయితే, ఒడిషా రాష్ట్రానికి సరిహద్దు కావడంచేత ఒరియా భాషను కొంతమంది అర్థం చేసుకోగలరు, మాట్లాడగలరు కూడా. శ్రీకాకుళం జిల్లా ప్రధానంగా వ్యవసాయాధారిత ప్రాంతం. ఇటీవలి కాలంలో జరుగుతున్న పారిశ్రామిక, విద్యా రంగాల్లో అభివృద్ధి కారణంగా శ్రీకాకుళం పట్టణం వేగంగా అభివృద్ధి చెందుతున్నది. కానీ మౌలిక సదుపాయాల విషయంలో ఆటంకాలను ఎదుర్కొంటోంది. ఈ ఊరిని పేదవాని స్వర్గం (poor man's paradise) అని చమత్కరిస్తారు (వేసవికాలంలో చల్లగాఉండే ప్రదేశం కావడం వలన).
పశుపక్ష్యాదులు
Cows, Oxus,
విద్యాసంస్థలు
అంబేద్కర్ విశ్వవిద్యాలయం - ఎచ్చెర్ల
Rajivgandhi Institute of Medical Science s ( RIMS) - శ్రీకాకుళం
IIIT ఎచ్చెర్ల వద్ద ఉంది. జి.యు.ఆర్ ఇంజనీరింగ్ కాలేజ్ ప్రైవేట్ (రాజాం)
RGUKT Srikakulam
GEMS Medical college, Ragolu village
పర్యాటకం
శ్రీకాకుళం పట్నం మరియు జిల్లాలోని పలు ప్రాంతాలు పచ్చికబయల్లు, అడవులు,సశ్యస్యామలమైన పంట పొలాలతో ఎప్పుడూ చల్లగా ఉంటుంది.వేసవి కాలములో ఊటీని పోలి ఉంటుంది. ఈ జిల్లాలో వర్షపాతము ఎక్కువగా ఉంటుంది. కాస్టాఫ్ లివింగ్ చాలా తక్కువ. అందుకే దీనిని పేదవాని స్వర్గమని పిలుస్తారు. జిల్లాలోని పర్యాటక ప్రదేశాలన్నీ కలిపి 2017లో రెండు కోట్లమంది పైచిలుకు, 2016లో కోటీ అరవైలక్షల పైచిలుకు పర్యాటకులు సందర్శించారని ప్రభుత్వ అంచనా.[4] పర్యాటకుల సంఖ్య విషయంలో 2017లో శ్రీకాకుళం జిల్లా రాష్ట్రంలో చిత్తూరు జిల్లా తర్వాత రెండవ స్థానం పొందింది.
వాతావరణం
సంవత్సరంలో ఎక్కువకాలం వాతావరణం తేమగా ఉంటుంది. నైఋతి ఋతుపవనాలు జూన్ నుండి సెప్టెంబరు వరకు, ఈశాన్య ఋతుపవనాలు అక్టోబరు - నవంబరు మాసాలలోను వర్షాలు కురిపిస్తాయి. డిసెంబరు నుండి ఫిబ్రవరి వరకు పొడిగాను, చల్లగాను ఉంటుంది. సంవత్సరం సగటు వర్షపాతం 1162 మి.మీ. (2004-2005 సంవత్సరంలో వర్షపాతం 937.6 మి.మీ.)
జిల్లాలోని అడవుల సాంద్రత, వృక్ష జాతులు ప్రాంతాన్ని బట్టి వైవిధ్యం కలిగి ఉన్నాయి. ప్రధానంగా ఇక్కడి అడవులను రెండు రకాలుగా చెప్పవచ్చును.
సస్య సంపద
దక్షిణ భారత Moist deciduous అడవులు - మిశ్రమ అడవులు, మద్ది అడవులు మరియు పర్వత సవాన్నా భూములు.
దక్షిణ భారత సతత హరిత అడవులు (dry ever-green miscellaneous forests) అందుకే దీనిని పేదవాని స్వర్గం అని పిలుస్తారు.[5]
శ్రీకాకుళం పట్టణానికి చేరువలో అనేక ధార్మిక, విహార యాత్రా స్థలాలు ఉన్నాయి. వీటిలో కొన్ని ఇక్కడ ఇవ్వబడ్డాయు.
శ్రీకాకుళం
జిల్లా కేంద్రమైన ఈ పట్టణం నాగావళి నది ఒడ్డున ఉంది. 13 కిలోమీటర్ల దూరంలో ఆమదాలవలస రైల్వేస్టేషను ఉంది. కోటేశ్వరస్వామి ఆలయము (గుడివీధి), సంతోషిమాత ఆలయం (పాతశ్రీకాకుళం), వెంకటేశ్వరఆలయం (గుజరాతీపేట), కోదండ రామస్వామి ఆలయం, జమియా మసీదు ముఖ్యమైన ప్రార్థనా స్థలాలు.
అరసవిల్లి
సూర్య దేవాలయానికి ప్రసిద్ధి చెందిన అరసవిల్లి శ్రీకాకుళం పట్టణానికి 2 కి.మీ.లోనే ఉంది. దేశంలో ఉన్న కొద్ది సూర్య మందిరాలలో ఇది ఒకటి. ఇక్కడ ఆదిత్య, అంబిక, విష్ణు, గణేష, మహేశ్వర మూర్తులు ఉన్నాయి.
శ్రీకూర్మం
శ్రీకాకుళం పట్టణానికి 15 కి.మీ. దూరంలో ఉన్న శ్రీకూర్మం దేశంలో బహుశా ఒకే ఒక కూర్మావతార మందిరం. విశిష్టమైన శిల్పకళ కలిగిన ఈ మందిరంలో లభించిన శాసనాలు చారిత్రికంగా కూడా ఎంతో ముఖ్యమైనవి. ఇక్కడ డోలోత్సవం ప్రధాన ఉత్సవం.
శాలిహుండం
ఇది శ్రీకాకుళం పట్టణానికి 18 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. ఇక్కడ పురావస్తుశాఖ త్రవ్వకాలలో పురాతన బౌద్ధారామాల శిథిలాలు బయటపడ్డాయి.
శ్రీముఖలింగం
కళింగపట్నం
జిల్లా కేంద్రానికి 25 కి.మీ. దూరంలో ఉన్న ఓడరేవు. చారిత్రకంగా సముద్ర వాణిజ్య కేంద్రం. వంశధార నది ఇక్కడ బంగాళాఖాతంలో కలుస్తుంది. ఇక్కడ దర్గా షరీఫ్, షేక్ మదీనా అక్విలిన్ ఉన్నాయి. 23 కిలోమీటర్లవరకు కనుపించే ఒక దీప స్తంభం ఉఉంది.
కవిటి
సోంపేట, ఇచ్ఛాపురాల మధ్య ఉన్న కవిటిని 'ఉద్దానం' (ఉద్యానవనం) అని కూడా అంటారు. కొబ్బరి, జీడిమామిడి, పనస వంటి తోటలతో ఇది రమణీయంగా ఉండే ప్రదేశం. శ్రీకాకుళానికి 130 కి.మీ. దూరం. ఇక్కడ చింతామణి అమ్మవారి, శ్రీ సీతారామ స్వామి ఆలయం ఉన్నాయి.
బారువ
ఇది శ్రీకాకుళం పట్టణానికి 109 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. ఇక్కడ మహేంద్ర తనయ నది సముద్రంలో కలుస్తుంది, ఇక్కడ కోటిలింగేశ్వర స్వామి ఆలయం, జనార్దన స్వామి ఆలయం ఉన్నాయి. ఒకప్పుడు ఇది ముఖ్యమైన ఓడరేవు. ఇది కొబ్బరి తోటలకు, కొబ్బరి పీచు పరిశ్రమకు కేంద్రం.
తేలినీలాపురం
ఇది శ్రీకాకుళం పట్టణానికి 60 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. ఇక్కడ ఒక సంరక్షిత పక్షి ఆవాస కేంద్రం. సైబీరియా నుండి శీతకాలంలో పెలికన్ పక్షులు ఇక్కడికి వలస వస్తాయి.
దంతపురి
ఇది శ్రీకాకుళం పట్టణానికి 22 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. దీనిని బౌద్ధ జ్ఞానదంతపురి అని కూడా అంటారు. క్రీ.పూ.261లో అశోకుని కళింగ యుద్ధం తరువాత ఇది కళింగరాజులకు ప్రాంతీయ రాజధానిగా ఉంది. ఇక్కడ పురావస్తు శాఖవారి త్రవ్వకాలలో అనేక పురాతన వస్తువులు లభించాయి.
సంగం
శ్రీకాకుళానికి 56 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. ఇక్కడ నాగావళి, వంశధార, సువర్ణముఖి నదులు కలుస్తున్నాయి. ఇక్కడ సంగమేశ్వర మందిరం ఐదు లింగక్షేత్రాలలో ఒకటిగా ప్రసిద్ధం. మహాశివరాత్రికి ఇక్కడ పెద్ద ఉత్సవం జరుగుతుంది.
పొందూరు
ప్రఖ్యాతి గాంచిన పొందూరు ఖద్దరు తయారయ్యేది జిల్లాలోని పొందూరు లోనే. ఇది జిల్లా కేంద్రానికి 21 కి.మీ. దూరంలో ఉంది.
కొరసవాడ
ప్రఖ్యాతి గాంచిన మంచు తాతాయ్య చెనెత వస్త్రములు తయారయ్యేది జిల్లాలోని కొరసవాడ లోనే. ఇది శ్రీకాకుళానికి 55 కి.మీ. దూరంలో ఉంది.
రాజాం
శ్రీకాకుళానికి 40 కి.మీ. దూరంలో ఉన్న రాజాం బొబ్బిలి సర్దార్ తాండ్ర పాపారాయుడు కథ ద్వారా చారిత్రికమైనది.
మందస
సోంపేటకు 26 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. మహేంద్రగిరి కొండ దుగువున ఉన్న ఈ వూరిలో 700 సంవత్సరాల పురాతన వాసుదేవ ఆలయం ఉంది. ఇక్కడి కోట దక్షిణ భారతదేశంలోనే ఎత్తైనదిగా చెప్పబడుతున్నది.
మరి కొన్ని ముఖ్యమైన ఆలయాలు
రావివలస - ఎండలమల్లన్న,
పాతపట్నం - నీలమణి అమ్మవారు,
పాలకొండ - కోటదుర్గ,
కవిటి, తేలినీలాపురం,తేలుకుంచి, పొందూరు, దంతవరపుకోట, రాజాం, మందస,
నందిగాం, పొలాకి మండలం దుర్గమ్మగుడి
క్రీడలు
ఈ జిల్లాకు చెందిన ఎందరో మహానుభావులు ఆంధ్ర దేశం, తెలుగు భాష వికాసానికి అసమానమైన సేవ చేశారు. జిల్లాకు చెందిన కొందరు ప్రముఖులు
సాహితీవేత్తలు
కళాప్రపూర్ణ గిడుగు రామమూర్తి పంతులు - వ్యావహారిక భాష వాడకాన్ని ఉద్యమ స్ఫూర్తితో అమలుపరచిన వైతాళికుడు
గరిమెళ్ళ సత్యనారాయణ - కవి, స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
కాళీపట్నం రామారావు - కథా రచయిత
రాచకొండ విశ్వనాథశాస్త్రి (రావిశాస్త్రి)-రవయిత,సాహితీ వేత్త
గెడ్డాపు సత్యం - ప్రముఖ పద్యకవి, సాహితీ వేత్త, ఆధ్యాత్మిక వేత్త.
పింగళి నాగేంద్రరావు (రచయిత)
వడ్రంగి రామారావు (భావశ్రీ)- రచయిత, సాహితీవేత్త
బి.వి.ఎ.రామారావు నాయుడు - రచయిత, సాహితీ పరిశోధకుడు
అట్టాడ అప్పలనాయుడు - రచయిత
బలివాడ కాంతారావు నవలా రచయిత
ఛాయరాజ్ - రచయిత, సాహితీ పరిశోధకుడు
తెప్పల కృష్ణమూర్తి-రచయిత,సాహితీవేత్త
మావుడూరు వెంకట సత్య శ్రీరామమూర్తి రచనలు రచయిత,సాహితీవేత్త
దూసి ధర్మారావు - రచయిత, సాహితీకారుడు.
కళాకారులు
చట్టి పూర్ణయ్య పంతులు - నాటక రంగానికి ఎనలేని సేవ చేశాడు
అమరపు సత్యనారాయణ - రంగస్థల కళాకారుడు
యడ్ల గోపాలం - రంగస్థల కళాకారుడు
దూసి బెనర్జీ భాగవతార్ - హరికథకుడు
లోకనాథం నందికేశ్వరరావు - మిమిక్రీ కళాకారుడు
పి.ధనుంజయరావు - బుర్రకథకుడు
బండారు చిట్టిబాబు - సంగీతకారుడు
దివిలి అప్పారావు - శిల్పి
శ్రీపాద పినాకపాణి - సంగీతకారుడు
వడ్డాది పాపయ్య - చిత్రకారుడు
జి.ఆనంద్- (గాయకుడు)
జె.వి.సోమయాజులు (తెలుగు చలనచిత్ర నటుడు)
కాళీపట్నం రామారావు (సరళ భాషా రచయిత, కథకుడు, విమర్శకుడు)
గజల్ శ్రీనివాస్
మిమిక్రీ శ్రీనివాస్
శరత్ బాబు [చలనచిత్ర నటులు]
సీపాన శ్రీధర్ (సినీ రచయిత, దర్శకుడు )
వట్టి కుమార్ ( దర్శకుడు )
షకలక శంకర్ జబర్దస్త్ ఫేమ్
క్రీడాకారులు
కోడి రామమూర్తి - పహిల్వాన్
కరణం మల్లీశ్వరి - ఒలింపిక్ విజేత
పూజారి శైలజ - క్రీడాకారిణి
నీలంశెట్టి లక్ష్మి - క్రీడాకారిణి
పూర్ణ చందన.కె - కరాటే క్రీడాకారిణి
నాయకులు
సర్దార్ గౌతు లచ్చన్న - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు, రాజకీయ నాయకుడు
మరి కొందరి సినీ ప్రముఖులు - రావి కొండలరావు, శరత్ బాబు, జి.ఆనంద్, జె.వి.సోమయాజులుఉర్లం సంస్థానం సంస్కృత భాష ఆధ్యయనానికి ఎంతో సేవ చేసింది.
పాలనా విభాగాలు
పట్టణ ప్రాంతాలు
జిల్లాలో ఆరు పట్టణ ప్రాంతాలు -నాలుగు మునిసిపాలిటీలు, రెండు నోటిఫైడ్ పంచాయితీ టౌనులు - ఉన్నాయి.
శ్రీకాకుళం మున్సిపాలిటీ (టౌను) - 1,17,320
ఆముదాలవలస - 37,931
ఇచ్చాపురం - 32,662
పలాస (పలాస-కాశిబుగ్గ) - 49,899
సోంపేట - 17,423 (నోటిఫైడ్ పంచాయితీ టౌను)
రాజం -23,424 (నోటిఫైడ్ పంచాయితీ టౌను) #పాలకోండ-75,000 నగరపంచాయతీ
లోక్ సభ స్థానాలు
శ్రీకాకుళం జిల్లాపరిధిలో 3 లోక్సభ స్థానాలున్నవి.
లోక్సభ స్థానం (1): శ్రీకాకుళం లోక్సభ, పాక్షికముగా 2.పార్వతీపురం, 3.విజయనగరం లలో కలిసి ఉంది.
శాసనసభస్థానాలు
ఆంధ్ర ప్రదేశ్ శాసనసభ శాసనసభస్థానాలు
తేది 2009 మే 29 నాటికి శ్రీకాకుళం జిల్లాలో మొత్తము 10 శాసనసభ స్థానాలు ఉన్నాయి: ఇచ్ఛాపురం, టెక్కలి, నరసన్నపేట, శ్రీకాకుళం శాసనసభ, ఎచ్చెర్ల, ఆముదాలవలస,,పాలకొండ, పాతపట్నం, పలాస,రాజాం
పునర్విభజన ప్రకారము 31-మే-2007 న వెలువడిన నోటిఫికేషన్ ప్రకారము వాటిని 10 స్థానాలకు కుదించడము జరిగింది. వాటి వివరాలు ఈ క్రింది విదముగా ఉన్నాయి.[6]
ఇవి కూడా చూడండి
శ్రీకాకుళం (అయోమయ నివృత్తి)
శ్రీకాకుళం (పట్టణం)
శ్రీకాకుళం శాసనసభ నియోజకవర్గం
శ్రీకాకుళం లోక్సభ
మూలాలు
5. Om Art Print - vijayawada,వారి శ్రీకాకుళం జిల్లా సమాచారము
బయటి లింకులు
మూసలు, వర్గాలు
వర్గం:ఆంధ్ర ప్రదేశ్ జిల్లాలు
వర్గం:కోస్తా | https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%B6%E0%B1%8D%E0%B0%B0%E0%B1%80%E0%B0%95%E0%B0%BE%E0%B0%95%E0%B1%81%E0%B0%B3%E0%B0%82%20%E0%B0%9C%E0%B0%BF%E0%B0%B2%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B0%BE |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
2079,
3344,
4160,
4299,
4746,
4807,
4849,
5236,
5300,
5342,
5526,
5586,
5681,
7176,
7235,
7277,
7878,
7953,
7995,
8425,
8481,
8523,
8852,
8920,
9027,
9483,
9539,
9694,
10081,
10143,
10185,
10369,
10452,
10592,
11149,
11211,
11253,
11668,
11731,
11773,
11958,
12035,
12079,
12666,
12726,
12768,
12952,
13033,
13140,
13954,
14016,
14058,
14963,
15024,
15066,
15695,
15759,
15801,
16193,
16257,
16373,
16777,
16847
],
"plaintext_end_byte": [
2078,
3343,
4121,
4298,
4745,
4792,
4848,
5235,
5283,
5341,
5525,
5573,
5680,
7175,
7222,
7276,
7877,
7925,
7994,
8424,
8472,
8522,
8851,
8899,
9026,
9482,
9530,
9693,
10080,
10128,
10184,
10368,
10416,
10591,
11148,
11196,
11252,
11667,
11714,
11772,
11957,
12005,
12078,
12665,
12713,
12767,
12951,
12999,
13139,
13953,
14001,
14057,
14962,
15009,
15065,
15694,
15742,
15800,
16192,
16240,
16372,
16776,
16824,
16916
]
} | Какой средний вес игроков сборной Англии по регби? | Чемпионат мира по регби 2015 (составы) | russian | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Списки игроков на чемпионат мира по регби 2015 года, состоящие из 31 регбиста, были переданы в распоряжение IRB от имени каждой команды-участника до 31 августа 2015 года. В дальнейшем, игроки могли быть выведены из состава команды из-за травмы и заменены на других игроков, но не могли быть возвращёны в состав после осуществления замены (без проведения ещё одной замены). Все изменения составов игроков должны были происходить минимум за 48 часов до начала предстоящего матча[1]. Позиции игроков приведены в соответствии с официальным сайтом чемпионата мира. Внутри списка позиций игроки расположены в алфавитном порядке. Всего на турнир с учётом травмированных было заявлено 620 спортсменов[2]. Регбисты приведены в списке по включению в состав на день начала финального турнира (18 сентября 2015 года) и по мере их включения в заявку в случае замены травмированных игроков. Игроки приведены в алфавитном порядке согласно их игровым ролям. Возраст спортсменов также приведён по состоянию на 18 сентября 2015 года. В списке указан последний клуб, с которым представленный регбист имел профессиональный или полупрофессиональный контракт на эту дату[2].
Самым молодым игроком первенства стал полузащитник схватки сборной Грузии , ставший на тот момент также самым юным игроком за всю историю чемпионатов мира (18 лет 11 месяцев 4 дня)[3]. Самым возрастным игроком — замок сборной ЮАР [4]. Самой юной командой турнира стала сборная Англии, чей средний возраст составил 26,2 лет. Самой старшей оказалась команда Тонга (29,4 года)[5]. Для фланкера сборной Италии этот турнир стал пятым чемпионатом мира, в котором игрок принял участие, тем самым он повторил рекорд самоанца по максимальному числу участий в розыгрышах Кубка Уэбба Эллиса[6]. Наибольшим опытом по числу встреч на чемпионатах мира обладал капитан сборной Новой Зеландии Ричи Маккоу — 16 матчей[7].
Больше всего регбистов на турнире представляли клубы «Хагуарес» и «Глазго Уорриорз» (по 21 игроку). Больше всего включённых в состав сборных спортсменов выступали в чемпионатах Франции и Англии (121 и 103 игрока, соответственно), в частности сборные Англии и Франции целиком состояли из игроков, выступающих в клубах своей страны[8]. Наименьшее число представителей домашнего чемпионата было отмечено у сборной Тонга — 1 игрок[8].
Группа А
Австралия
Итог: завоевала серебряные медали, уступив в финале команде Новой Зеландии
Состав был предоставлен 21 августа 2015 года[9]. 29 сентября Сэм Картер и Джеймс Хансон заменили в составе Уилла Скелтона и Уиклифа Палу, получивших травму во время матча с командой Уругвая[10].
Средний вес игроков команды: 101 кг[8].
Источник: IRB[9], Barclay[2], BBC[11].
Англия
Итог: 3-е место в группе
Состав был предоставлен 27 августа 2015 года[12]. 28 сентября Ник Истер заменил в составе Билли Вуниполу, получившего травму во время матча с командой Уэльса[13].
Средний вес игроков команды: 103 кг[8].
Источник: IRB[12], Barclay[2], BBC[11].
Уругвай
Итог: 5-е место в группе
Состав был предоставлен 30 августа 2015 года[14].
Средний вес игроков команды: 96 кг[8].
Источник: IRB[14], Barclay[2], BBC[11].
Уэльс
Итог: выбыла в четвертьфинале, проиграв команде ЮАР
Состав был предоставлен 31 августа 2015 года[15]. Сборной Уэльса было произведено наибольшее число изменений в заявке на турнире. 8 сентября после тестового матча с командой Италии Майк Филлипс и Эли Уолкер заменили в составе и Ли Халфпенни, получивших травму[16]. 14 сентября Росс Мориарти заменил в составе Эли Уолкера, получившего травму на тренировке[17]. 21 сентября Тайлер Морган заменил в составе Кори Аллена, получившего травму во время стартового матча с командой Уругвая[18]. 28 сентября Джеймс Хук и Гарет Энском заменили в составе Халлама Эймоса и Скотта Уильямса, получивших травму во время матча с командой Англии[19]. 11 октября Эли Уолкер вновь был включён в заявку, заменив в составе Лиама Уильямса, получившего травму во время матча с командой Австралии[20].
Средний вес игроков команды: 106 кг[8].
Источник:IRB[15], Barclay[2], BBC[11].
Фиджи
Итог: 4-е место в группе
Состав был предоставлен 21 августа 2015 года[21]. 25 сентября Тимоки Нагуса заменил в составе Ваисеа Наякалеву, получившего травму во время матча с командой Австралии[22]. Спустя два дня 27 сентября Таниэла Корои заменил в составе Исеи Колати, получившего травму в том же матче[23].
Средний вес игроков команды: 102 кг[8].
Источник: IRB[21], Barclay[2], BBC[11].
Группа B
Самоа
Итог: 4-е место в группе
Состав был предоставлен 11 августа 2015 года[24]. 24 августа Фаифили Леваве заменил в составе получившего травму [25]. 11 сентября Сенсус Джонстон заменил в составе получившего травму [26].
Средний вес игроков команды: 105 кг[8].
Источник: IRB[24], Barclay[2], BBC[11].
США
Итог: 5-е место в группе
Состав был предоставлен 31 августа 2015 года[27]. 3 сентября Мэтт Трувиль заменил в составе , получившего травму на тренировке[28].
Средний вес игроков команды: 103 кг[8].
Источник: IRB[27], Barclay[2], BBC[11].
Шотландия
Итог: выбыла в четвертьфинале, проиграв команде Австралии
Состав был предоставлен 31 августа 2015 года[29]. 14 сентября Кевин Брайс заменил в составе , выбывшего из-за травмы[30]. 29 сентября Блэр Коуэн заменил в составе получившего травму Гранта Гилкриста[31].
Средний вес игроков команды: 104 кг[8].
Источник: IRB[29], Barclay[2], BBC[11].
ЮАР
Итог: завоевала бронзовые медали, победив в матче за третье место команду Аргентины
Состав был предоставлен 28 августа 2015 года[32]. 27 сентября Ян Серфонтейн заменил в составе получившего во время игры с командой Самоа травму Жана де Вилье[33].
Средний вес игроков команды: 105 кг[8].
Источник: IRB[32], Barclay[2], BBC[11].
Япония
Итог: 3-е место в группе
Состав был предоставлен 31 августа 2015 года[34].
Средний вес игроков команды: 100 кг[8].
Источник: IRB[34], Barclay[2], BBC[11].
Группа C
Аргентина
Итог: заняла 4-е место на турнире, уступив в матче за третье место команде ЮАР
Состав был предоставлен 17 августа 2015 года[35]. 15 октября Хуан Фигальо заменил в составе Науэля Тетаса Чапарро, получившего травму на тренировке[36]. 30 октября Сантьяго Гарсия Ботта заменил в составе Маркоса Аерсу, получившего травму на тренировке[37].
Средний вес игроков команды: 100 кг[8].
Источник: IRB[35], Barclay[2], BBC[11].
Грузия
Итог: 3-е место в группе
Состав был предоставлен 31 августа 2015 года[3]. 29 сентября Антон Пеикришвили заменил в составе Давита Кубриашвили, получившего травму во время матча с командой Аргентины[38].
Средний вес игроков команды: 102 кг[8].
Источник: IRB[3], Barclay[2], BBC[11].
Намибия
Итог: 5-е место в группе
Состав был предоставлен 27 августа 2015 года[39].
Средний вес игроков команды: 102 кг[8].
Источник: IRB[39], Barclay[2], BBC[11].
Новая Зеландия
Итог: чемпион (3-й титул)
Состав был предоставлен 30 августа 2015 года[40]. 10 октября Джо Муди заменил в составе Тони Вудкока, получившего травму во время игры с командой Тонга[41]. 29 октября Ману Паулиаси заменил в составе Уайатта Крокетта, получившего травму во время игры с командой Франции[42].
Средний вес игроков команды: 105 кг[8].
Источник: IRB[40], Barclay[2], BBC[11].
Тонга
Итог: 4-е место в группе
Состав был предоставлен 31 августа 2015 года[43].
Средний вес игроков команды: 105 кг[8].
Источник: IRB[43], Barclay[2], BBC[11].
Группа D
Ирландия
Итог: выбыла в четвертьфинале, проиграв команде Аргентины
Состав был предоставлен 31 августа 2015 года[44]. 12 октября Рис Раддок заменил в составе Питера О’Махоуни, получившего травму во время матча с командой Франции[45]. День спустя 13 октября Майк Маккарти заменил в составе капитана команды Пола О’Коннелла, получившего в том же матче[46]. 17 октября Айзек Босс заменил в составе Джареда Пэйна, получившего травму во время матча с командой Румынии[47].
Средний вес игроков команды: 104 кг[8].
Источник: IRB[44], Barclay[2], BBC[11].
Италия
Итог: 3-е место в группе
Состав был предоставлен 24 августа 2015 года[6]. 1 сентября Симоне Фаваро заменил в составе , выбывшего из-за травмы[48]. 10 сентября Энрико Баккин заменил в составе , выбывшего из-за травмы[49]. 21 сентября Микеле Висентин заменил в составе Андреа Мази, получившего травму во время стартового матча с командой Франции[50]. 5 октября Альберто Де Марки и Андреа Ловотти заменили в составе Мартина Кастроджованни и Микеле Риццо, выбывших из-за травмы[51].
Средний вес игроков команды: 103 кг[8].
Источник: IRB[6], Barclay[2], BBC[11].
Канада
Итог: 5-е место в группе
Состав был предоставлен 26 августа 2015 года[52]. 24 сентября Джеймс Притчард заменил в составе Лиама Андервуда, получившего травму во время стартового матча с командой Ирландии[53]. 28 сентября Пэт Парфри заменил в составе Коннора Брейда, получившего травму во время матча с командой Италии[54].
Средний вес игроков команды: 101 кг[8].
Источник: IRB[52], Barclay[2], BBC[11].
Румыния
Итог: 4-е место в группе
Состав был предоставлен 25 августа 2015 года[55]. 29 сентября Влад Нистор заменил в составе Овидиу Тоницу, получившего травму во время матча с командой Ирландии[56].
Средний вес игроков команды: 102 кг[8].
Источник: IRB[55], Barclay[2], BBC[11].
Франция
Итог: выбыла в четвертьфинале, проиграв команде Новой Зеландии
Состав был предоставлен 23 августа 2015 года[57]. 20 сентября Реми Гроссо заменил в составе Йоанна Юже, получившего травму во время стартового матча с командой Италии[58].
Средний вес игроков команды: 105 кг[8].
Источник: IRB[57], Barclay[2], BBC[11].
Примечания
Категория:Чемпионат мира по регби 2015 | https://ru.wikipedia.org/wiki/%D0%A7%D0%B5%D0%BC%D0%BF%D0%B8%D0%BE%D0%BD%D0%B0%D1%82%20%D0%BC%D0%B8%D1%80%D0%B0%20%D0%BF%D0%BE%20%D1%80%D0%B5%D0%B3%D0%B1%D0%B8%202015%20%28%D1%81%D0%BE%D1%81%D1%82%D0%B0%D0%B2%D1%8B%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1910,
3075,
5011,
6268,
8657,
10666,
12657,
13723,
15682,
18547,
20122,
22846,
25612,
28039,
29941,
33335,
37306,
38468,
42012,
44091,
45764,
48140,
49082,
50962,
52521,
54121,
55938,
57911,
59699,
61929,
65071,
67376,
68110,
70836,
74527,
77254,
77809,
78900,
80536,
81690,
84169,
87163,
90002,
91458,
94849,
95230
],
"plaintext_end_byte": [
1909,
3074,
5010,
6226,
8656,
10665,
12656,
13675,
15681,
18546,
20076,
22845,
25589,
28038,
29940,
33334,
37305,
38467,
41941,
44090,
45763,
48139,
49011,
50961,
52520,
54120,
55881,
57910,
59698,
61866,
65070,
67375,
68058,
70835,
74526,
77253,
77808,
78874,
80535,
81689,
84137,
87162,
89962,
91457,
94797,
95149,
96251
]
} | মাইকেল জ্যাকসন কি আত্মহত্যা করে মারা যান ? | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ে (২১ জুলাই ১৮৯৯ - ২ জুলাই ১৯৬১) ছিলেন একজন মার্কিন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। বিংশ শতাব্দীর কথাসাহিত্যের ভাষাশৈলীর ওপর তাঁর নির্মেদ ও নিরাবেগী ভাষার ভীষণ প্রভাব ছিল। তাঁর রোমাঞ্চপ্রিয় জীবন ও ভাবমূর্তি পরবর্তী প্রজন্মের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে তিনি তাঁর অধিকাংশ সাহিত্যকর্ম রচনা করেছিলেন এবং ১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি সাতটি উপন্যাস, ছয়টি ছোট গল্প সংকলন এবং দুইটি নন-ফিকশন গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে আরও তিনটি উপন্যাস, চারটি ছোট গল্প সংকলন এবং তিনটি নন-ফিকশন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের অনেকগুলোই মার্কিন সাহিত্যের চিরায়ত গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়।
হেমিংওয়ে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ওক পার্কে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে বেড়ে ওঠেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি কয়েক মাস দ্য কানসাস সিটি স্টার সংবাদপত্রে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ইতালির যুদ্ধক্ষেত্রে গমন করেন। ১৯১৮ সালে তিনি মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁর যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতাই তাঁর আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস (১৯২৯) উপন্যাসের অনুপ্রেরণা।
১৯২১ সালে তিনি হ্যাডলি রিচার্ডসনকে বিয়ে করেন এবং প্যারিস চলে যান। সেখানে তিনি বিদেশি করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করেন এবং "হারানো প্রজন্ম" নামে আধুনিক লেখক ও শিল্পীদের প্রবাসী সম্প্রদায় দ্বারা প্রভাবিত হন। তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য সান অলসো রাইজেস ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯২৭ সালে হ্যাডলির সাথে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং তিনি সাংবাদিক পলিন ফাইফারকে বিয়ে করেন। স্পেনীয় গৃহযুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পর ফাইফারের সাথেও তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। যুদ্ধের অভিজ্ঞতা হতে তিনি ফর হুম দ্য বেল টোলস (১৯৪০) উপন্যাস রচনা করেন। ১৯৪০ সালে তিনি মার্থা গেলহর্নকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লন্ডনে ম্যারি ওয়েলশের সাথে তাঁর সাক্ষাতের পর গেলহর্নের সাথে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। তিনি নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং ও প্যারিসের স্বাধীনতার সময় উপস্থিত ছিলেন।
দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী (১৯৫২) প্রকাশের কিছুদিন পর হেমিংওয়ে আফ্রিকায় সাফারি ভ্রমণে যান। সেখানে তিনি পরপর দুটি বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পান, কিন্তু বাকি জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি শারীরিক পীড়া নিয়ে কাটান। তিনি ১৯৩০-এর দশকে ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টে এবং ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকে কিউবায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি আইডাহোর কেচামে একটি বাড়ি ক্রয় করেন এবং সেখানে ১৯৬১ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন।
জীবনী
বাল্যকাল
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ১৮৯৯ সালের ২১শে জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের অন্তর্গত ওক পার্কে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[1] তাঁর পিতা ক্লেরেন্স এডমন্ডস হেমিংওয়ে পেশায় চিকিৎসক এবং তাঁর মাতা গ্রেস হল হেমিংওয়ে একজন সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। দুজনেই ওক পার্কে উচ্চ শিক্ষিত ও সম্মানিত ছিলেন।[2] ক্লেরেন্স ও গ্রেস হেমিংওয়ে তাদের বিয়ের পর কিছু সময় গ্রেসের পিতা আর্নেস্ট হলের বাড়িতে ছিলেন।[3] হেমিংওয়ের নাম তাঁর নানার নাম অনুযায়ীই রাখা হয়। যদিও পরবর্তীকালে হেমিংওয়ে এই নাম পছন্দ করেননি। কারণ অস্কার ওয়াইল্ডের নাটক দি ইমপোর্টেন্স অব বিয়িং আর্নেস্ট-এর সাদাসিধে, বোকাসোকা ধরনের প্রধান চরিত্রের নাম ছিল আর্নেস্ট।[4] হেমিংওয়ের অন্যান্য ভাইবোনেরা হলেন মার্শেলিন (জ. ১৮৯৮), উরসুলা (জ. ১৯০২), ম্যাডেলিন (জ. ১৯০৪), ক্যারল (জ. ১৯১১) ও লিস্টার (জ. ১৯১৫)।[2] তাদের পরিবার পরবর্তীকালে নিকটবর্তী একটি স্থানে চলে যান, সেখানে গ্রেসের জন্য একটি মিউজিক স্টুডিও ও ক্লেরেন্সের জন্য মেডিক্যাল অফিসের সুব্যবস্থা ছিল।[2]
হেমিংওয়ের মাতা প্রায়ই গ্রামে গ্রামে কনসার্ট করে বেড়াতেন। যখন হেমিংওয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হল তখনই সে তাঁর মাকে ঘোষণা দিয়ে ঘৃণা করতে আরম্ভ করলেন। যদিও হেমিংওয়ের জীবনীকার মিশেল এস. রেনল্ডস মনে করতেন হেমিংওয়ে তাঁর মায়ের শক্তি ও সাহসিকতার স্বভাব পেয়েছিলেন।[5] হেমিংওয়ে তাঁর মায়ের পীড়াপীড়িতে সেলো বাজানো শিখতে শুরু করে এবং কিছু দিন পর এই বাজানোকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে সংঘাত বাধে। যদিও পরবর্তীকালে হেমিংওয়ে স্বীকার করেছিলেন যে, গান শেখার কারণেই তাঁর ফর হুম দ্য বেল টোলস্ বইটি লেখা সহজসাধ্য হয়েছে।[6] তাদের গ্রীষ্মকালীন আবাস উইন্ডমেয়ারেই বালক হেমিংওয়ে শিকার, মাছ ধরা, ক্যাম্প করা শিখেছিলেন। তাঁর বাল্যকালের এই সব অভিজ্ঞতাই ধীরে ধীরে তাকে ঘরের বাইরে অ্যাডভেঞ্চারে অণুরক্ত করে তুলেছিল এবং দূরবর্তী-জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় বসবাসে উদ্বুদ্ধ করেছিল।[7]
১৯১৩ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত, হেমিংওয়ে ওক পার্ক অ্যান্ড রিভার ফরেস্ট হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন। সেখানে তিনি মুষ্টিযুদ্ধ, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড, ওয়াটার পোলো ও ফুটবলসহ নানা ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ইংরেজি বিষয়ে অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেন[8] এবং তিনি ও তাঁর বোন দুই বছর বিদ্যালয়ে ঐকতান বাদকদলের হয়ে পরিবেশনা করতেন।[5] স্কুলেই হেমিংওয়ে একটি সাংবাদিকতার কোর্স পড়েছিলেন, যেখানে ক্লাসরুমের পরিবেশ ছিল সংবাদপত্র অফিসের মত। তিনি স্কুলের দেয়াল পত্রিকা ট্রাপিজি</i>তে লিখতেন। তিনি ও তাঁর বোন মার্শেলিন লেখা জমা দিতেন। শিকাগো সিম্ফোনি অর্কেস্ট্রা সম্পর্কিত হেমিংওয়ের প্রথম লেখা ১৯১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।[9] তিনি ক্রীড়া সাংবাদিকদের লেখা অনুকরণ করে রিং লার্ডনার জুনিয়র ছদ্মনামে ট্রাপিজি ও ট্যাবুলা পত্রিকা সম্পাদনার কাজও করতেন।[10]
হেমিংওয়ে উপন্যাস রচনা শুরুর পূর্বে সাংবাদিকতা করেন। স্কুল পেরোনোর পর তিনি শিক্ষানবিশ সংবাদদাতা হিসেবে দ্য কানসাস সিটি স্টার সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন।[10] তিনি সেখানে মাত্র ছয় মাস ছিলেন, কিন্তু স্টারের লেখনীর নির্দেশনা: "ছোট বাক্যের ব্যবহার। ছোট প্রথম অনুচ্ছেদের ব্যবহার। তেজস্বী ইংরেজি শব্দের ব্যবহার। নেতিবাচকতা বর্জন করে ইতিবাচকতার ব্যবহার।" তাঁর লেখনীর মূলভিত্তি গড়ে দেয়।[11]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯১৮ সালের শুরুর দিকে হেমিংওয়ে কানসাস সিটিতে রেডক্রসের নিয়োগ কার্যক্রমে সাড়া দেন এবং ইতালিতে অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে নিয়োগ পান।[12] তিনি মে মাসে নিউ ইয়র্ক সিটি ছেড়ে যান এবং প্যারিস পৌছেঁ দেখেন শহরটি জার্মান গোলন্দাজ বাহিনী কর্তৃক বোমাবিধ্বস্ত।[13] জুনের মধ্যে তিনি ইতালির যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে যান। এই সময়েই সম্ভবত তিনি প্রথমবারের মত জন ডস প্যাসসের সাথে পরিচিত হন। তার সাথে হেমিংওয়ের দীর্ঘদিন গভীর সম্পর্ক ছিল।[14] মিলানে উপস্থিত হয়ে প্রথম দিনই তাকে একটি যুদ্ধোপকরণ কারখানার বিস্ফোরনস্থলে পাঠানো হয়, যেখানে উদ্ধারকর্মীরা নারী শ্রমিকদের লাশের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধারের চেষ্টা করছিল। তিনি এই ঘটনার কথা তাঁর ডেথ ইন দি আফটারনুন বইতে বর্ণনা করেন: 'আমার মনে আছে আমরা গোটা মৃতদেহ খুঁজছিলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম মৃতদেহের টুকরো টুকরো অংশ'।[15]
৮ই জুলাই যুদ্ধ শিবিরের ক্যান্টিনে সিগারেট ও চকোলেট দিয়ে ফেরার সময় মর্টারের গুলিতে হেমিংওয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।[15] আহত অবস্থাতেই নিজের দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে তিনি ইতালীয় সৈনিকদের বহন করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে চলেন। তাঁর এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পরবর্তীকালে তাকে ইতালীয় সিলভার মেডেল অব ব্রেভারি দেয়া হয়।[16] তখন মাত্র ১৮ বছর বয়সী হেমিংওয়ে তাঁর দুর্ঘটনার ব্যাপারে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, "যখন বালক হিসেবে যুদ্ধে যাও তখন অমরত্ব লাভের জন্য একটা মোহ কাজ করে। অন্য যোদ্ধারা মারা যাবে, তুমি মরবে না... এমন মনোভাব থাকে। কিন্তু যখনি প্রথম বারের মত মারাত্মভাবে আহত হবে তখনই সেই মোহ কেটে যাবে এবং ভাবতে শুরু করবে, আমিও মরে যেতে পারি।[17] দুর্ঘটনায়ে তাঁর দুই পায়ে মর্টারের টুকরোগুলো ঢুকে যায়। জরুরি একটি অপারেশনের পর তাঁকে একটি ফিল্ড হাসপাতালে পাঁচ দিন কাটাতে হয়। তারপর তাঁকে মিলানের রেড ক্রসের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।[18] এই হাসপাতালে তিনি ছয়মাস কাটান এবং সেখানেই ডোরম্যান স্মিথ (চিঙ্ক) এর সাথে তাঁর পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। এই বন্ধুত্ব স্থায়ী হয়েছিল প্রায় এক দশকের মত। এছাড়া তিনি পরবর্তীতে মার্কিন পররাষ্ট্র কর্মকর্তা, দূত ও লেখক হেনরি সেরানো ভিলার্ডের সাথে এক কক্ষে ছিলেন।[19]
রেডক্রসে থাকাকালীন তিনি আইনেস ফন কুরভ্স্কির প্রেমে পড়েন, যিনি রেডক্রসের একজন নার্স ছিলেন এবং বয়সে ছিলেন হেমিংওয়ের চেয়ে ৭ বছরের বড়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ১৯১৯ সালের জানুয়ারিতে হেমিংওয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তারা কয়েক মাসের মধ্যে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু মার্চে আইনেস হেমিংওয়েকে চিঠি লিখে জানালেন, তিনি একজন ইতালীয় অফিসারকে বিয়ে করে ফেলেছেন। জীবনীকার জেফ্রি মেয়ার হেমিংওয়ে: আ বায়োগ্রাফি বইয়ে লিখেন হেমিংওয়ে এই ঘটনায়ে বিপর্যস্ত হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রীদেরকে কোন সুযোগ না দিয়েই পরিত্যাগ করতে প্ররোচিত করেছিলেন।[20]
টরেন্টো ও শিকাগো
১৯১৯ সালের শুরুর দিকে হেমিংওয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ২০ বছর বয়স হওয়ার পূর্বেই তিনি যুদ্ধ থেকে পরিপক্বতা অর্জন করে ফিরেন।[21] সেপ্টেম্বরে তিনি তাঁর হাই স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে মিশিগানের আপার পেনিসুলায় মাছ ধরা ও ক্যাম্পিং ট্রিপে যান।[17] এই ভ্রমণ তাঁর বিগ টু-হার্টেড রিভার ছোটগল্পের অনুপ্রেরণা ছিল। অর্ধ-আত্মজীবনীমূলক এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিক অ্যাডামস যুদ্ধ থেকে ফিরে স্বস্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে বেড়াতে যায়।[22] তাঁর এক পারিবারিক বন্ধু তাঁকে অন্টারিওর টরন্টোতে একটি চাকরির প্রস্তাব দেন। কোন কাজ না পেয়ে তিনি এই চাকরি করতে রাজি হন। পরে তিনি টরন্টো স্টার পত্রিকাতে একাধারে ফ্রিল্যান্সার, স্টাফ রিপোর্টার ও বিদেশী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এই সময়ে তার পরিচয় হয় একই পত্রিকার সাংবাদিক কানাডার এক সাহিত্য বিস্ময় মর্লে কালাঘানের সাথে। তিনি হেমিংওয়ের লেখনীর প্রশংসা করেন এবং তার নিজের কিছু লেখা তাকে দেখান। হেমিংওয়েও সেগুলোর প্রশংসা করেন। পরের বছর জুন মাসে তিনি মিশিগানে ফিরে আসেন[21] এবং ১৯২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে থাকার উদ্দেশ্যে শিকাগো যান, কিন্তু তখনো তিনি টরন্টো স্টারের জন্য গল্প লেখছিলেন।[23]
শিকাগোতে তিনি মাসিক সাময়িকী কোঅপারেটিভ কমনওয়েলথ-এর সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তাঁর ঔপন্যাসিক শেরউড অ্যান্ডারসনের সাথে পরিচয় হয়।[23] হেমিংওয়ের রুমমেটের বোন হ্যাডলি রিচার্ডসন শিকাগোতে তার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে আসলে হেমিংওয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। হেমিংওয়ে তার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং পরবর্তীতে বলেন, "আমি জানতাম এই সেই নারী যাকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি।"[24] রিচার্ডসন হেমিংওয়ের চেয়ে আট বছরের বড় ছিলেন।[24] বয়সের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও মায়ের অতি-আশ্রয়ে পালিত হ্যাডলি তার বয়সী নারীর তুলনায় কম পরিপক্ব ছিলেন।[25] দ্য হেমিংওয়ে উইমেন বইয়ের লেখক বার্নিস কার্ট লিখেন হ্যাডলি আইনেসের মত ছিলেন, কিন্তু হ্যাডলির মধ্যে বাচ্ছাসুলভ ভাব ছিল, যা আইনেসের মধ্যে ছিল না। তারা দুজন কয়েক মাস পত্র আদান-প্রদান করেন এবং বিয়ে করে ইউরোপ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।[24] তারা রোমে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেরউড অ্যান্ডারসনের পরামর্শে তারা প্যারিস ভ্রমণে যান।[26] ১৯২১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর হেমিংওয়ে হ্যাডলি রিচার্ডসনকে বিয়ে করেন। দুই মাস পর হেমিংওয়ে টরন্টো স্টারের বিদেশি করেসপন্ডেন্ট হিসেবে চাকরি পান এবং তারা প্যারিস ছেড়ে টরন্টো যান।[27]
প্যারিস
হেমিংওয়ের প্রথম জীবনীকার কার্লোস বেকার মনে করেন অ্যান্ডারসন তাঁকে প্যারিস যাওয়ার সুপারিশ করেন কারণ সেখানকার অর্থের বিনিময় হার কম হওয়ায় তা বসবাসের জন্য সস্তা ছিল। অন্যদিকে, এখানে সেই সময়ের সবচেয়ে কৌতুহলী মানুষেরা বাস করত। তিনি ও হ্যাডলি লাতিন কোয়ার্টারের ৭৪ রু দ্যু কার্দিনাল ল্যমোইনে বাস করতেন। প্যারিসে মার্কিন লেখক ও শিল্প সংগ্রাহক গারট্রুড স্টেইনের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। এই ভদ্রমহিলাই পরে হেমিংওয়ের গুরু হয়ে ওঠেন ও তাঁর সন্তান জ্যাকের ধর্মমাতা হন।[26] তিনি হেমিংওয়েকে প্যারিসের গণজাগরণের সাথে একাত্ম করে তোলেন[28] এবং মন্তপার্নাস কোয়ার্টারের বিভিন্ন প্রবাসী শিল্পী ও লেখকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, যাদের স্টেইন "বিগত প্রজন্ম" বলে অভিহিত করতেন।[29] স্টেইনের সালুনে তিনি পাবলো পিকাসো, জোয়ান মিরো ও হুয়ান গ্রিসদের মত প্রভাবশালী চিত্রশিল্পীদের সাথে পরিচিত হন।[30] ধীরে ধীরে তিনি স্টেইনের প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসেন এবং তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে তা সাহিত্যিক ঝগড়ায় পরিণত হয় এবং দশকব্যাপী চলতে থাকে।[31]
১৯২২ সালে সিলভিয়া বিচের বইয়ের দোকান শেকসপিয়ার অ্যান্ড কোম্পানিতে মার্কিন কবি এজরা পাউন্ডের সাথে হেমিংওয়ের সাক্ষাৎ হয়। ১৯২৩ সালে তারা ইতালি ভ্রমণে যায় এবং ১৯২৪ সাল পর্যন্ত একই মহল্লায় বাস করতেন।[32] তাদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পাউন্ড হেমিংওয়ের মধ্যে তারুণ্যের প্রতিভা খুঁজে পান এবং তাঁকে উৎসাহ প্রদান করতেন।[30] হেমিংওয়ে পাউন্ডের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, যিনি তরুণ হেমিংওয়েকে মইয়ের ধাপে উপরে উঠায় সাহায্য করেন।[26] পাউন্ড তাঁকে আইরিশ ঔপন্যাসিক জেমস জয়েসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।[33] ১৯২২ সালে জেমস জয়েস এর ইউলিসিস প্রকাশিত হয়েছিল। বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়। হেমিংওয়ে তাঁর টরন্টোর বন্ধুদের সাহায্যে গোপনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ঘোষিত বইটির কপিগুলো পাচার করতেন।[34]
প্যারিসে অবস্থানের ২০ মাসে হেমিংওয়ে টরন্টো স্টার পত্রিকার জন্য ৮৮টি গল্প রচনা করেন।[35] তিনি গ্রেকো-তুরস্ক যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করেন, সেখানে তিনি স্মির্নার অগ্নিকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেন। তিনি টুনা ফিশিং ইন স্পেন ও ট্রাউট ফিশিং অল অ্যাক্রস ইউরোপ: স্পেন হ্যাজ দ্য বেস্ট, দেন জার্মানি নামে দুটি ভ্রমণকাহিনী লিখেন।[36] ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে হ্যাডলি জেনেভায় তাঁর সাথে দেখা করতে আসার পথে গ্যর দ্য লিওঁ নিকটে তাঁর পাণ্ডুলিপি সহ একটি সুটকেস হারিয়ে ফেলেছেন এমন খবরে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন।[37] ১৯২৩ সালে প্যারিস থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম বই থ্রি স্টোরিজ অ্যান্ড টেন পোয়েমস, প্রকাশক ছিলেন রবার্ট ম্যাকেলমন। হারিয়ে যাওয়া সুটকেসের পাণ্ডুলিপিতে থাকা দুটি গল্প এই বইয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তৃতীয় একটি গল্প তিনি আগের বছর ইতালিতে থাকাকালীন লিখেছিলেন। এক মাসের মধ্যে বইটির দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়। ছোট এই খণ্ডে ছয়টি ভিগনেত্তে ও এক ডজন গল্প অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা তিনি আগের গ্রীষ্মে স্পেনে প্রথমবার ভ্রমণকালে লিখেছিলেন। এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তারা দুজন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য টরন্টোতে ফিরে আসেন। সেখানে ১৯২৩ সালের ১০ই অক্টোবর তাদের প্রথম পুত্র জন হ্যাডলি জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের পিছনে সময় দেয়ার জন্যে একপর্যায়ে তিনি পত্রিকার চাকরি ছেড়ে দেন। তিনি প্যারিস শহরের মায়ায় পড়ে যান। টরন্টো শহর তাঁর কাছে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তিনি সাংবাদিকের জীবনে থাকার চেয়ে লেখকের জীবনে ফিরে যেতে চান।[38]
হেমিংওয়ে ও হ্যাডলি তাদের পুত্র জ্যাককে (ডাকনাম বাম্বি) নিয়ে ১৯২৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্যারিসে ফিরে আসেন। তারা র্যু নত্র্-দ্যম দে শাম্পে একটি নতুন অ্যাপার্টমেন্টে চলে যায়।[38] হেমিংওয়ে ফোর্ড ম্যাডক্স ফোর্ডকে দ্য ট্রান্সাটলান্টিক রিভিউ সম্পাদনায় সাহায্য করতেন। এতে পাউন্ড, ডস প্যাসস, বারোনেস এলসা ফন ফ্রেটাগ-লরিংহোফেন ও গারট্রুড স্টেইনের লেখা প্রকাশিত হত, এবং মাঝে মাঝে হেমিংওয়ের নিজের গল্পগুলোও প্রকাশিত হত, যেমন ইন্ডিয়ান ক্যাম্প।[39] ১৯২৫ সালে ইন আওয়ার টাইম প্রকাশিত হওয়ার পর ফোর্ডের মন্তব্যে ভরপুর হয়ে গিয়েছিল।[40][41] বিগ-টু হার্টেড রিভার-কে এই সংকলনের শ্রেষ্ঠ ছোটগল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইন্ডিয়ান ক্যাম্প বইটিও বেশ প্রশংসা অর্জন করে। ফোর্ড বইটিকে একজন তরুণ লেখকের গুরুত্বপূর্ণ গল্প হিসেবে বিবেচনা করেন[42] এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচকেরা মজাদার ধরন ও বর্ণনামূলক বাক্যের ব্যবহারের মাধ্যমে ছোটগল্পকে পুনর্জাগ্রত করার জন্য হেমিংওয়ের প্রশংসা করেন।[43] ছয় মাস পূর্বে প্যারিসের ডিঙ্গো বারে এফ. স্কট ফিট্জেরাল্ডের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। ফিট্জেরাল্ড আর হেমিংওয়ে শুরুতে ভাল বন্ধু ছিলেন। তারা একে অপরের পাণ্ডুলিপি বিনিময়ও করতেন। তাছাড়া লেখক হিসেবে হেমিংওয়েও নানা ভাবে তাঁর কাছে ঋণী। তাঁর লেখা প্রথম বইটি প্রকাশে সাহায্য করেছিলেন ফিট্জেরাল্ড। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হয়।[lower-alpha 1][44] যাই হোক, এই বছর ফিট্জেরাল্ডের দ্য গ্রেট গেটসবি উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। হেমিংওয়ের বইটি পড়ে পছন্দ করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরবর্তী কাজ হবে একটি উপন্যাস।[45] মন্তপার্নাসে অবস্থানকালে তিনি টানা ৮ সপ্তাহ ধরে লিখে শেষ করেন তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য সান অলসো রাইজেস (১৯২৬)।[46]
দ্য সান অলসো রাইজেস যুদ্ধ-পরবর্তী প্রবাসী প্রজন্মকে নিয়ে রচিত একটি সংক্ষিপ্তসার।[47] বইটি ভালো পর্যালোচনা অর্জন করে এবং একে "হেমিংওয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ কর্ম" বলে গণ্য করা হয়।[48] হেমিংওয়ে নিজে পরবর্তীকালে তাঁর সম্পাদক ম্যাক্স পারকিন্সকে লিখেন যে "বইয়ের মূল বিষয়বস্তু" এমন নয় যে একটি প্রজন্ম হারিয়ে গেছে, কিন্তু "পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে"। তিনি মনে করতেন দ্য সান অলসো রাইজেস-এর চরিত্রাবলি বার বার প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে, কিন্তু হারিয়ে যায় নি।[49]
দ্য সান অলসো রাইজেস উপন্যাসটি রচনাকালে হ্যাডলির সাথে হেমিংওয়ের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।[50] ১৯২৬ সালের শুরুতে হ্যাডলি ফাইফারের সাথে হেমিংওয়ের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। ফাইফা জুলাই মাসে তাদের সাথে পাম্পলোনা থেকে আসেন।[51][52] প্যারিস ফিরে যাওয়ার কালে হ্যাডলি আলাদা হয়ে যেতে চান। নভেম্বর মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকের আবেদন করেন। তারা আলাদা হয়ে গেলেও হ্যাডলি হেমিংওয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী দ্য সান অলসো রাইজেস-এর বিক্রিয়লব্ধ অর্থ গ্রহণ করেন।[53] ১৯২৭ সালে আরনেস্ট হেমিংওয়ে হ্যাডলি রিচার্ডসনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং পলিন ফাইফারকে বিয়ে করেন।[54] ফাইফার ছিলেন আর্কানসাসের ধনাঢ্য একনিষ্ঠ রোমান ক্যাথলিক। তিনি ভোগ সাময়িকীতে কাজের উদ্দেশ্যে প্যারিস গিয়েছিলেন। বিয়ের পূর্বে হেমিংওয়ে ক্যাথলিক বাদে দীক্ষিত হন।[55] তারা ল্য গ্রো-দ্যু-রোইতে মধুচন্দ্রিমায় যান, সেখানে তিনি অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হন। সেখানেই তিনি তাঁর পরবর্তী ছোটগল্প সংকলনের পরিকল্পনা করেন।[56] ঐ বছরের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হয় তাঁর ছোট গল্পের সংকলন মেন উইদাউট উইমেন।[57] এই সংকলনের দ্য কিলার্স গল্পটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সাড়াজাগানো একটি রচনা এবং এতে তাঁর মুষ্টিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প ফিফটি গ্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল। কসমোপলিটান সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক রে লং ফিফটি গ্র্যান্ড-এর প্রশংসা করে লিখেন, "আমার হাতে আসা অন্যতম সেরা ছোটগল্প... আমার পড়া সেরা মুষ্টিযুদ্ধ বিষয়ক গল্প... বাস্তবতাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ খণ্ড।"[58]
কি ওয়েস্ট ও ক্যারিবিয়ান
১৯২৭ সালের শেষের দিকে অন্তঃসত্ত্বা পলিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে যান। জন ডস প্যাসস তাদের ফ্লোরিডার কি ওয়েস্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তারা ১৯২৮ সালের মার্চে প্যারিস ত্যাগ করেন। প্যারিস ছাড়ার পর হেমিংওয়ে আর কখনো বড় শহরে থাকেন নি।[59] হেমিংওয়ে ও পলিন কানসাস সিটিতে যান। সেখানে ১৯২৮ সালের ২৮শে জুন হেমিংওয়ের দ্বিতীয় সন্তান প্যাট্রিক জন্ম নেয়। সিজারিয়ান পদ্ধতিতে অনেক জটিলতার পর তাঁর জন্ম হয়। হেমিংওয়ে তাঁর আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস উপন্যাসে সেই দৃশ্যের অবতারণা করেছেন। উপন্যাসের পটভূমি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। একজন আমেরিকান সেনা ও একজন ব্রিটিশ নার্সের প্রেম এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য কাহিনী। এটিকে এক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর আত্মজীবনীই বলা যেতে পারে। ব্রিটিশ নার্সের চরিত্রের মাঝে তাঁর প্রথম প্রেমিকা জেনা কুরোভস্কির ছাপ পাওয়া যায়। আর আমেরিকান সেনার চরিত্রটি যেন তিনি নিজেই।
তাঁর তৃতীয় সন্তান গ্রেগরি হ্যানকক হেমিংওয়ে ১৯৩১ সালের ১২ই নভেম্বর কানসাস সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন।[60] পলিনের চাচা কি ওয়েস্টে তাদের একটি বাড়ি কিনে দেন। বাড়িটির তৃতীয় তলা লেখার দপ্তরে রূপান্তর করা হয়।[61] কি ওয়েস্টে থাকাকালীন হেমিংওয়ে প্রায়ই স্থানীয় বার স্লপি জোসে যেতেন।[62] তিনি তাঁর বন্ধু ওয়াল্ডো পিয়ার্স, ডস প্যাসস ও ম্যাক্স পারকিন্সদের তাঁর সাথে মাছ ধরতে যাওয়া ও ড্রাই টর্টুগাসে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাতেন।[63] এরই মধ্যে তিনি ইউরোপ ও কিউবায় ভ্রমণ করতে থাকেন। যদিও ১৯৩৩ সালে তিনি কি ওয়েস্ট সম্পর্কে লিখেন, "এখানে আমাদের একটি সুন্দর বাড়ি রয়েছে, এবং বাচ্চারা সকলেই ভালো আছে", তবুও মেলো মনে করেন তিনি খুবই অস্থিরমনা ছিলেন।[64]
১৯৩৩ সালে হেমিংওয়ে ও পলিন পূর্ব আফ্রিকায় সাফারিতে যান। ১০ সপ্তাহের এই ভ্রমণে তিনি গ্রিন হিলস অব আফ্রিকা এবং দ্য স্নোজ অব কিলিমাঞ্জারো ও দ্য শর্ট হ্যাপি লাইফ অব ফ্রান্সিস ম্যাকোম্বার ছোটগল্প দুটি রচনার রসদ পান।[65] তারা দুজন কেনিয়ায় মম্বাসা, নাইরোবি, ও মাকাকোস ভ্রমণ করেন। পরে তারা তাঞ্জানিকা অঞ্চলে যান, সেখানে তারা সেরেঙ্গেটি, মানিয়ারা হৃদ ও বর্তমানকালের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব টারাঞ্জাইয়ার জাতীয় উদ্যানে শিকার করেছিলেন। তাদের গাইড ছিলেন বিখ্যাত "শ্বেতাঙ্গ শিকারী" ফিলিপ পার্সিভাল, যিনি থিওডোর রুজভেল্ট যখন ১৯০৯ সালে সাফারিতে আসেন তখন তার গাইড ছিলেন। এই ভ্রমণকালে হেমিংওয়ের রক্তামশয় হয়, যার ফলে তাঁর অন্ত্রের স্থানচ্যুতি ঘটে। তিনি দ্রুত বিমানে করে নাইরোবি ফিরে আসেন। দ্য স্নোজ অব কিলিমাঞ্জারো বইতে এই অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। ১৯৩৪ সালের শুরুর দিকে কি ওয়েস্টে ফিরে এসে হেমিংওয়ে গ্রিন হিলস অব আফ্রিকা বই লেখার কাজ শুরু করেন। ১৯৩৫ সালে বইটি প্রকাশের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া অর্জন করে।[66]
হেমিংওয়ে ১৯৩৪ সালে একটি নৌকা ক্রয় করেন। পিলার নামে এই নৌকা নিয়ে তিনি ক্যারিবিয়ান দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।[67] ১৯৩৫ সালে তিনি বিমিনিতে পৌঁছান। সেখানে তিনি অনেকটা সময় কাটান।[65] এই সময়ে তিনি টু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট বইয়ের রচনা করেন। বইটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয়, তখন তিনি স্পেনে ছিলেন। এটি ১৯৩০-এর দশকে রচিত একমাত্র বই।[68]
স্পেনীয় গৃহযুদ্ধ ও কিউবা
১৯৩৭ সালে হেমিংওয়ে উত্তর আমেরিকার সংবাদপত্রের ঐক্যজোটের (এনএএনএ) জন্য স্পেনের গৃহযুদ্ধের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে সম্মত হন।[69] তিনি মার্চ মাসে ওলন্দাজ চলচ্চিত্র নির্মাতা ইয়োরিস আইভেন্সের সাথে স্পেনে পৌঁছান।[70] আইভেন্স রিপাবলিকানদের পক্ষে দ্য স্পেনিশ আর্থ নামে একটি প্রচারণামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ করছিলেন। আইভেন্স হেমিংওয়েকে ডস প্যাসসের স্থলে চিত্রনাট্যকারের ভূমিকা পালন করার প্রস্তাব দেন। কারণ ডস প্যাসসের বন্ধু হোসে রোবলসকে গ্রেফতার করার পর হত্যা করা হলে তিনি এই চলচ্চিত্রে কাজ ছেড়ে যান।[71] এই ঘটনা বামপন্থী রিপাবলিকানদের প্রতি ডস প্যাসসের প্রারম্ভিক ইতিবাচক মতামত পাল্টে দেয়। ফলে তার ও হেমিংওয়ের মধ্যকার সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং হেমিংওয়ে পরে গুজব ছড়ান ডস প্যাসস ভীরুতার জন্য স্পেন ছেড়ে গেছেন।[72]
সাংবাদিক ও লেখক মার্থা গেলহর্ন স্পেনে হেমিংওয়ের সাথে যোগ দেন। ১৯৩৬ সালের বড়দিনে কি ওয়েস্টে গেলহর্নের সাথে হেমিংওয়ের পরিচয় হয়েছিল। হ্যাডলির মত গেলহর্নও সেন্ট লুইসের বাসিন্দা ছিলেন এবং পলিনের মত তিনিও প্যারিসে ভোগ সাময়িকীতে কাজ করতেন।[73] ১৯৩৭ সালের শেষের দিকে মার্থার সাথে মাদ্রিদে থাকাকালীন হেমিংওয়ে তাঁর একমাত্র নাটক দ্য ফিফথ কলাম রচনা করেন।[74] তিনি কয়েক মাসের জন্য কি ওয়েস্টে ফিরে যান এবং ১৯৩৮ সালে দুইবার স্পেনে ফিরে আসেন। তিনি এব্রোর যুদ্ধ ও সর্বশেষ রিপাবলিকান স্ট্যান্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনি সবশেষে ফিরে আসা কয়েকজন ব্রিটিশ ও মার্কিন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন।[75][76]
১৯৩৯ সালের বসন্তকালে হেমিংওয়ে তাঁর বোটে করে কিউবার রাজধানী হাভানার হোটেল আম্বোস মুন্দোসে থাকতে যান। মার্থা গেলহর্নের সাথে পরিচয় পরবর্তী এই সময়ে তিনি পলিন ফাইফারের থেকে ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যেতে থাকেন।[77] মার্থা অল্প কিছুদিন পর কিউবায় তাঁর সাথে যোগ দেন এবং তারা হাভানা থেকে ১৫ মাইল দূরে ১৫ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত "ফিন্সা ভিজা" ভাড়া নেন। এই বছর গ্রীষ্মে উইয়োমিংয়ে ভ্রমণকালে তিনি তাঁর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং হেমিংওয়ে ও পলিনের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে পলিন ও তার সন্তানেরা হেমিংওয়েকে ছেড়ে চলে যায়। তিনি ১৯৪০ সালের ২০শে নভেম্বর উইয়োমিংয়ের চেয়েনে মার্থার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[78]
গেলহর্ন তাঁকে তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস ফর হুম দ্য বেল টোলস লেখার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। ১৯৩৯ সালে মার্চে তিনি এই উপন্যাসটি লেখা শুরু করেন এবং ১৯৪০ সালের জুলাই মাসে লেখা সমাপ্ত হয়। বইটি ১৯৪০ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।[79] তিনি কোন পাণ্ডুলিপি লেখা শুরু করলে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করতেন, এবং এই ধারাবাহিকতায় ফর হুম দ্য বেল টোলস বইটিও তিনি কিউবা, উইয়োমিং, ও সান ভ্যালিতে অবস্থানকালীন রচনা করেন।[77] ফর হুম দ্য বেল টোলস মাসের সেরা বই ক্লাবে তালিকাভুক্ত হয় এবং এক মাসের মধ্যেই বইটির ৫ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। বইটি পুলিৎজার পুরস্কারে মনোনীত হয়। মেয়ার্স এই সফলতা বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেন, "সাফল্যের সাথে হেমিংওয়ে তাঁর সাহিত্যিক খ্যাতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।"[80]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
১৯৪৪ সালের মার্চ থেকে ১৯৪৫ সালের মে পর্যন্ত হেমিংওয়ে লন্ডন ও ইউরোপে ছিলেন। হেমিংওয়ে যখন প্রথম লন্ডনে পৌঁছান, তিনি টাইম সাময়িকীর করেসপন্ডেন্ট ম্যারি ওয়েলশের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি তার প্রতি আকৃষ্ট হন। হেমিংওয়ে মার্থাকে বিমানে প্রেস পাস না দেওয়ায় মার্থা বিস্ফোরক ভর্তি এক জাহাজে করে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন। তিনি লন্ডনে এসে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হেমিংওয়েকে হাসপাতালে খুঁজে বের করেন। তাঁর এই অবস্থায় সহানুভূতিশীল না হয়ে বরং মার্থা তাঁর বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন।[81] হেমিংওয়ে শেষবারের মত মার্থার সাথে সাক্ষাৎ করেন ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে যখন তিনি কিউবা ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।[82] এই বছরের শেষের দিকে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। ইতোমধ্যে, তিনি ম্যারি ওয়েলশকে তাদের তৃতীয় সাক্ষাতেই বিয়ের প্রস্তাব দেন।[81]
জুলাই মাসের শেষের দিকে তিনি কর্নেল চার্লস বাক ল্যানহামের অধীনস্ত ২২তম পদাতিক রেজিমেন্টে যোগ দেন। তিনি প্যারিসের বাইরে রামবুয়েতে একটি ছোট গ্রাম্য মিলিশিয়া ব্যান্ডের অনানুষ্ঠানিক নেতার দায়িত্ব পালন করেন।[83] হেমিংওয়ের বীরত্ব সম্পর্কে ইতিহাসবেত্তা ও দুটি বিশ্বযুদ্ধের সাহিত্যের সমালোচক পল ফুসেল লিখেন, "হেমিংওয়ে তাঁর জড়ো করা রেজিস্টেন্স দলের পদাতিক বাহিনীর ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালনকালে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, কারণ একজন করেসপন্ডেন্টের সৈন্যদলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা নয়, তবুও তিনি তা সুষ্ঠুভাবে পালন করেন।"[17] এমনকি তা জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল ছিল। হেমিংওয়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও আনা হয়েছিল। তিনি বলেন তিনি শুধুমাত্র উপদেশ প্রদান করতেন।[84]
২৫শে আগস্ট প্যারিসের স্বাধীনতা অর্জনকালে তিনি উপস্থিত ছিলেন, যদিও মতবিরোধ রয়েছে যে তিনি প্রথমে এই শহরেই ছিলেন না।[85] প্যারিসে তিনি ম্যারি ওয়েলশকে নিয়ে সিলভিয়া বিচ ও পাবলো পিকাসোর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং অত্যধিক খুশিতে থাকার কারণে তিনি গারট্রুড স্টেইনকে ক্ষমা করে দেন।[86] এই বছরের শেষের দিকে তিনি হুর্টগেন বনের যুদ্ধে মারাত্মক সংঘর্ষ সংগঠিত হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।[85] ১৯৪৪ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর জ্বরাক্রান্ত ও অসুস্ত হেমিংওয়ে বালজের যুদ্ধের সংবাদ আহরণের লক্ষ্যে লুক্সেমবুর্গ পর্যন্ত নিজেই গাড়ি চালিয়ে যান। সেখানে পৌঁছা মাত্রই ল্যানহাম তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হেমিংওয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এক সপ্তাহ পরে তিনি আরোগ্য হলে ততোদিনে এই যুদ্ধের অধিকাংশই সমাপ্ত হয়ে যায়।[84] হেমিংওয়ে ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য ব্রোঞ্জ স্টার পদকে ভূষিত হন।[17]
কিউবা ও নোবেল পুরস্কার
হেমিংওয়ে বলেন তিনি ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কিউবায় তাঁর বাড়িতে অবস্থানকালে লেখক হিসেবে তাঁর কাজের বাইরে ছিলেন।[87] ১৯৪৬ সালে তিনি ম্যারিকে বিয়ে করেন। পাঁচ মাস পর ম্যারি অন্তঃসত্ত্বা হন। পরের বছর হেমিংওয়ে পরিবার ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হন। ১৯৪৫ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় হেমিংওয়ে তাঁর হাঁটুতে আঘাত পান এবং কপালে আঘাত থেকে রেহাই পান। অন্যদিকে, ম্যারির ডান গোড়ালি ভেঙ্গে যায় এবং পরে আরেকটি স্কিইং দুর্ঘটনায় বাম গোড়ালি ভাঙ্গে। ১৯৪৭ সালে অপর একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় প্যাট্রিক মাথায় আঘাত পান এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।[88] একের পর এক তাঁর সাহিত্যিক বন্ধুগণ মারা যেতে থাকলে হেমিংওয়ে হতোদ্যম হয়ে পড়েন।[89] এই সময়ে পূর্ববর্তী দুর্ঘটনা ও অনেক বছরের অত্যাধিক মদ্যপানের কারণে তিনি তীব্র মাথা ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন হ্রাস, ও ডায়াবেটিসে ভুগতে থাকেন।[90] ১৯৪৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি দ্য গার্ডেন অব ইডেন বই রচনা শুরু করেন। জুন মাসে বইটির ৮০০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত লেখা শেষ করেন।[91] যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি দ্য ল্যান্ড, দ্য সী ও দি এয়ার ত্রয়ী গ্রন্থ রচনা করেন, যা তিনি দ্য সী বুক শিরোনামে একটি উপন্যাসে সমন্বয় করতে চেয়েছিলেন। যাই হোক, দুটি কাজই থেমে যায়। মেলো বলেন হেমিংওয়ের এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার অক্ষমতা ছিল এই বছরগুলোতে তাঁর সমস্যাগুলোর উপসর্গ।[87]
১৯৪৮ সালে হেমিংওয়ে ও ম্যারি ইউরোপ ভ্রমণে যান। তারা কিছুদিন ভেনিস শহরে অবস্থান করেন। সেখানে হেমিংওয়ে ১৯ বছর বয়সী আদ্রিয়ানা ইভানচিচের প্রেমে পড়েন। এই প্রেমের সম্পর্ক তাঁকে অ্যাক্রস দ্য রিভার অ্যান্ড ইনটু দ্য ট্রিজ উপন্যাস লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়। কিউবায় অবস্থানকালে ম্যারির সাথে বিবাদে জড়িয়ে থাকাকালীন তিনি এই বইটি রচনা করেন। বইটি ১৯৫০ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অর্জন করে।[92] উপন্যাসটির সমালোচনামূলক প্রতিক্রিয়ার ক্ষুব্ধ হেমিংওয়ে পরের বছর মাত্র আট সপ্তাহে দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি রচনা করেন। তিনি বলেন, "এটি ছিল আমার লেখার সাধ্যের মধ্যে আমার জীবনের সেরা বই।"[90] দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী বইটি মাসের সেরা বইয়ের নির্বাচনে তালিকাভূক্ত হয়। হেমিংওয়ে আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে ওঠেন এবং ১৯৫২ সালে মে মাসে তিনি এই বইয়ের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। এর একমাস পরে তিনি দ্বিতীয়বারের মত আফ্রিকা ভ্রমণে যান।[91][93]
১৯৫৪ সালের অক্টোবরে তিনি সাহিত্যজগতের সবচেয়ে সম্মানজনক নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি আন্তরিকতার সাথে গনমাধ্যমকে জানান কার্ল সান্ডবুর্গ, আইজাক ডিনেসেন ও বের্নার্ড বেরেনসন এই পুরস্কার লাভের যোগ্য ছিলেন।[94] তিনি অত্যন্ত আনন্দের সাথে পুরস্কার গ্রহণ করেন।[95]
আইডাহো ও আত্মহত্যা
১৯৬০ সালের ২৫শে জুলাই হেমিংওয়ে ও ম্যারি কিউবা ছেড়ে চলে যান এবং কখনো আর সেখানে ফিরেন নি। ১৯৬০ সালের গ্রীষ্মে তিনি তাঁর নিউ ইয়র্ক সিটির অ্যাপার্টমেন্টে ছোট অফিস করেন এবং কাজ করার প্রচেষ্টা চালান। কিছুদিন পর তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিও চিরতরে ছেড়ে চলে যান। তিনি পরে লাইফ সাময়িকীর প্রচ্ছদের জন্য ছবি তুলতে একাকী স্পেন সফরে যান। কিছুদিন পর প্রতিবেদন প্রকাশ হয় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং মৃত্যুশয্যায় চলে গেছেন। ম্যারি এই খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হেমিংওয়ে তাকে তারবার্তায় খবর পাঠান, "প্রতিবেদনটি ভুল, মাদ্রিদের রাস্তায়, ভালোবাসা পাপা।"[96] যাই হোক, তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন এবং প্রায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন।[97] তিনি একাকী ছিলেন এবং কয়েকদিন শয্যাশায়ী ছিলেন; তা সত্ত্বেও ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে লাইফ সাময়িকীতে দ্য ডেঞ্জারাস সামার-এর প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হয় এবং ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে।[98] অক্টোবরে তিনি স্পেন ত্যাগ করে নিউ ইয়র্কে যান, সেখানে তিনি ম্যারির অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে নারাজ ছিলেন। ম্যারি তাঁকে নিয়ে আইডাহো চলে যান। সেখানে যাওয়ার সময় ট্রেনে সান ভ্যালির চিকিৎসক জর্জ স্যাভিয়ার্সের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হয়।[97]
এই সময়ে হেমিংওয়ে প্রায়ই তাঁর অর্থ ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকতেন।[99] তিনি কর নিয়ে দুশ্চিন্তা করতেন এবং ভাবতেন তিনি কখনো কিউবা ফিরে গিয়ে সেখানে খালি ভল্টে রাখা তাঁর পাণ্ডুলিপিগুলো ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। কেচামে এফবিআই সর্বক্ষণ তাঁর কর্মকাণ্ড নিরীক্ষণ করছে এই ভেবে তাঁর মধ্যে ভ্রম-বাতুলতা দেখা দেয়।[100][101] এফবিআই সত্যিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে এবং জে. এডগার হুভার ১৯৫০-এর দশকে হেমিংওয়েকে চোখে চোখে রাখার জন্য তাঁর একজন এজেন্টকে হাভানায় প্রেরণ করে।[102] নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ম্যারি তাঁর অবলম্বন হয়ে ওঠে। স্যাভিয়ার্স হেমিংওয়েকে মিনেসোটার মায়ো ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন এবং তাঁকে বলা হয় উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।[100] এফবিআই জানত হেমিংওয়ে মায়ো ক্লিনিকে আছেন, কারণ ১৯৬১ সালের জানুয়ারি মাসে একজন এজেন্ট একটি পত্রে তা জানিয়েছিলেন।[103] অজ্ঞাত পরিচয়ে থাকার জন্য হেমিংওয়েকে স্যাভিয়ার্সের নামে মায়ো ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল।[98] মেয়ার্স লিখেন মায়োতে হেমিংওয়ের চিকিৎসা গোপনতার বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল, কিন্তু মেয়ার্স নিশ্চিত করেন ১৯৬০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে কমপক্ষে ১৫ বার ইলেক্ট্রোকনক্লুসিভ থেরাপি দেওয়া হয়েছিল। ১৯৬১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি প্রায় ধ্বংসাবশেষ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান।[104] রেনল্ডস মায়োতে হেমিংওয়ের নথিপত্র পর্যবেক্ষণের সুযোগ পান। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন হেমিংওয়েকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল তা তাঁর হতাশ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছিল।[105]
মায়ো ক্লিনিক থেকে ছাড়া পাওয়ার তিন মাস পরে হেমিংওয়ে যখন তিনি কেচামে ফিরে আসেন ১৯৬১ সালের এপ্রিলে একদিন সকালে ম্যারি হেমিংওয়েকে শর্টগান হাতে রান্নাঘরে দেখতে পান। তিনি স্যাভিয়ার্সকে বিষয়টি জানালে তাঁকে ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয় ও সান ভ্যালি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে আরও ইলেক্ট্রোশক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আবার মায়ো ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।[106] জুন মাসের শেষের দিকে তিনি মায়ো থেকে ছাড়া পান এবং ৩০শে জুন কেচামে নিজ বাড়িতে আসেন। দুই দিন পরে ১৯৬১ সালের ২রা জুলাই ভোর-সকালে নিজের প্রিয় শটগান দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।[107] ম্যারি সান ভ্যালি হাসপাতালে ফোন করেন। ডাক্তার দ্রুত বাড়িতে পৌঁছান এবং মাথায় স্ব-আরোপিত আঘাতের কারণে মৃত বলে ঘোষণা দেন। ম্যারিকে ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয় এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরের দিন বাড়ি ফিরে তিনি শেষকৃত্যের আয়োজন ও মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার দেখতে পান। বার্নিস কার্ট লিখেন সে সময়ে তিনি যখন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তাঁর মৃত্যু দুর্ঘটনাবশত ছিল তখন তা সজ্ঞানে মিথ্যার মত মনে হয় নি।[108] পাঁচ দিন পরে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি হেমিংওয়ের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।[109]
পরিবারের সদস্য ও বন্ধুগণ কেচামে শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় ক্যাথলিক যাজক শেষকৃত্য পরিচালনা করেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন হেমিংওয়ের মৃত্যু একটি দুর্ঘটনা ছিল।[108] তাঁকে কেচাম সেমেটারিতে সমাহিত করা হয়।[110]
শেষ দিনগুলোতে হেমিংওয়ের আচরণ তাঁর পিতার শেষ দিনগুলোর আচরণের মত হয়ে গিয়েছিল।[111] তাঁর পিতার সম্ভবত জিনগত রোগ হেমোক্রোমাটোসিস ছিল, যে কারণে দেহের রাসায়নিক প্রক্রিয়ার অক্ষমতা তাঁকে মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল করে দেয়।[112] ১৯৯১ সালে প্রাপ্ত তাঁর চিকিৎসার নথি হতে পাওয়া যায় যে তিনি ১৯৬১ সালের প্রথম দিকে হেমোক্রোমাটোসিসের চিকিৎসা নিয়েছিলেন।[113] তাঁর বোন উরসুলা ও ভাই লিস্টারও আত্মহত্যা করেছিলেন।[114]
রচনাশৈলী
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ১৯২৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস সম্পর্কে লিখে, " কোন বিশ্লেষণই দ্য সান অলসো রাইজেস উপন্যাসের গুণমান বর্ণনা করতে পারবে না। এটি সত্যিই পাঠককে আটকে রাখার মত একটি গল্প, এবং কৃশ, কঠোর ও অ্যাথলেটিক গদ্যধারায় বর্ণিত।[115] জেমস ন্যাজেলের মতে, দ্য সান অলসো রাইজেস পরিমিত ও আঁটসাঁট গদ্য লেখা যা হেমিংওয়েকে বিখ্যাত করে তুলে এবং মার্কিন লেখনীর প্রকৃতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসে।"[116] ১৯৫৪ সালে যখন হেমিংওয়েকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়, তাতে বলা হয়, "বর্ণনার শিল্পে তাঁর পাণ্ডিত্যের জন্য, অতি সম্প্রতি দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী উপন্যাসে যা উপস্থাপিত হয়েছে, এবং সমকালীন লেখনীর ধরনে তাঁর প্রভাবের জন্য।"[117]
হেনরি লুইস গেটস মনে করেন হেমিংওয়ের লেখনীর ধরন তাঁর বিশ্বযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতালব্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি ও অন্যান্য আধুনিকতাবাদীগণ উনবিংশ শতাব্দীর লেখকদের বর্ণনাধর্মী ধরনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাশ্চাত্য সভ্যতার কেন্দ্রীভূত শাখা থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন এবং নতুন ধরনের সৃষ্টি করেন যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অল্প বর্ণনা করে বা অল্প কিছু অংশ বিশদভাবে বর্ণনা করে সংলাপ, কার্য ও নৈশব্দের মাধ্যমে অর্থবোধক করে তোলা হয়।[17]
বেকার মনে করেন ছোটগল্পকার হিসেবে সাহিত্য জীবন শুরু করার জন্য কীভাবে সবচেয়ে ভালোটুকু পাওয়া যায়, কীভাবে ভাষার কাটছাঁট করা যায়, কীভাবে প্রগাঢ়তাকে ঘনীভূত করা যায় এবং কীভাবে সত্য বলা যায় হেমিংওয়ে তা শিখেছিলেন।[118] হেমিংওয়ে তাঁর লেখনীর ধরনকে আইসবার্গ তত্ত্ব বলে অভিহিত করেন, যেখানে মূখ্য বিষয়টি পানির উপরে ভাসমান থাকে এবং গৌণ বিষয়গুলো দৃষ্টির বাইরে থাকে।[118] আইসবার্গ তত্ত্বকে প্রায়ই বাতিলের তত্ত্ব বলেও অভিহিত করা হয়। হেমিংওয়ে মনে করেন একজন লেখক একটি বিষয় বর্ণনা করতে পারে (যেমন "দ্য বিগ টু-হার্টেড রিভার"-এ নিক অ্যাডামস মাছ ধরছেন), যদিও অন্যদিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ঘটনা ঘটছে (নিক অ্যাডামস মাছ ধরায় এতোটাই মনোযোগী ছিলেন যে তিনি অন্যকিছু সম্পর্কে ভাবছিলেন না)।[119] পল স্মিথ লিখেন হেমিংওয়ের ইন আওয়ার টাইম নামে সংকলিত প্রথম গল্পসমূহে তিনি তখনও তাঁর লেখনীর ধরন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন।[120] তিনি জটিল পদবিন্যাস এড়িয়ে গিয়েছিলেন। প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ বাক্যই সরল বাক্য ছিল, একাধিক বাক্যাংশবিহীন বালকসুলভ পদবিন্যাস।[121]
বিষয়বস্তু
হেমিংওয়ের কাজের জনপ্রিয়তা এর বিষয়বস্তু অর্থাৎ প্রেম, যুদ্ধ, বন্যতা ও ক্ষতির উপর নির্ভরশীল। এই সবকয়টি উপাদান তাঁর কাজের উতপ্রোতভাবে জড়িত।[122] এগুলো মার্কিন সাহিত্যে বহুল ব্যবহৃত বিষয়বস্তু এবং হেমিংওয়ের কাজের প্রধানতম উপাদান। সমালোচক লেসলি ফিল্ডার এই বিষয়বস্তুগুলোকে "পবিত্র ভূমি"-মার্কিন পাশ্চাত্য বলে সংজ্ঞায়িত করেন, যা হেমিংওয়ের কাজে স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও আফ্রিকার পর্বতমালা থেকে শুরু করে মিশিগানের ছোট নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। মার্কিন পাশ্চাত্য দ্য সান অলসো রাইজেস ও ফর হুম দ্য বেল টোলস্ উপন্যাসে ব্যবহৃত "হোটেল মন্টানা" নামে একটি প্রতীকী উপস্থাপনা।[123] স্টলৎজফাস ও ফিল্ডারের মতে, হেমিংওয়ের কাজে প্রকৃতি হল পুনর্জন্ম ও বিশ্রামের স্থান এবং এখানেই শিকারী ও জেলেরা তাদের শিকারকে ধরার মুহূর্তে অতীন্দ্রিয়ের অভিজ্ঞতা লাভ করে।[124] প্রকৃতিতে মানুষ নারী ছাড়া বাঁচে, মাছ ধরে, শিকার করে, এবং প্রকৃতিতে মুক্তির সন্ধান করেন।[123] যদিও হেমিংওয়ে খেলাধুলা সম্পর্কে, বিশেষত মাছ ধরা সম্পর্কে, লিখতেন, ক্যারল বেকার উল্লেখ করেন খেলাধুলার চেয়ে তিনি মল্লক্রীড়ায় বেশি জোর দিতেন।[125] কেন্দ্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হেমিংওয়ের অনেক কাজকে মার্কিন প্রকৃতিবাদের আলোকে বিবেচনা করা যায়, বিগ টু-হার্টেড রিভার-এ এর বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।[7]
ফিল্ডার মনে করেন হেমিংওয়ে মন্দ "ডার্ক উম্যান" বনাম ভাল "লাইট উম্যান" বিষয়ক মার্কিন সাহিত্যের বিষয়বস্তু পাল্টে দিয়েছেন। দ্য সান অলসো রাইজেস উপন্যাসে মন্দ নারী ব্রেট অ্যাশলিকে দেবী হিসেবে দেখিয়েছেন, অন্যদিকে দ্য শর্ট হ্যাপি লাইফ অব ফ্রান্সিস ম্যাকোম্বার গল্পে ভালো নারী মার্গো ম্যাকোম্বারকে খুনী হিসেবে দেখিয়েছেন।[123] রবার্ট শোলস উল্লেখ করেন হেমিংওয়ের শুরুর দিকের গল্প, যেমন আ ভেরি শর্ট স্টোরি-তে পুরুষ চরিত্র ইতিবাচকভাবে এবং নারী চরিত্র নেতিবাচকভাবে দেখানো হয়েছে।[126] হেমিংওয়ের লেখনীর শুরুর দিকের সমালোচক রেনা স্যান্ডারসন তাঁর পুরুষ-কেন্দ্রিক জগৎ ও নারীদের খোজা বা প্রেমের দাসে রূপান্তরকারী কল্পকাহিনীর প্রশংসা করেন। নারীবাদী সমালোচকগণ হেমিংওয়েকে "জনগণের এক নাম্বার শত্রু" বলে উল্লেখ করে, যদিও তাঁর কাজের সাম্প্রতিক পুনর্মূল্যায়ন হেমিংওয়ের নারী চরিত্রগুলো নতুনভাবে দৃষ্টিগোচর হয় এবং লৈঙ্গিক বিচারে তাঁর সংবেদনশীলতা প্রকাশিত হয়। ফলে তাঁর লেখাগুলো একপেশে পুরুষজাতীয় এই বিষয়ক পূর্ববর্তী মূল্যায়নের সন্দেহ দূর হয়।[127] নিনা বায়াম মনে করেন ব্রেট অ্যাশলি ও মার্গো ম্যাকোম্বার হল হেমিংওয়ের খারাপ নারী চরিত্রের দুটি বিশিষ্ট উদাহরণ।[128]
প্রভাব ও অবদান
মার্কিন সাহিত্যে হেমিংওয়ের অবদান হল তাঁর লেখনীর ধরন, তাঁর পরে যেসব লেখক এসেছেন তারা এই ধরন অতিক্রম করে গেছেন বা পরিত্যাগ করেছেন।[129] দ্য সান অলসো রাইজেস প্রকাশিত হলে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পরলে তিনি এই অনুসরণযোগ্য ধরন সৃষ্টির মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের মুখপাত্র হয়ে ওঠেন।[116] আধুনিক অবক্ষয়ের স্তম্ভ হয়ে ওঠার কারণে ১৯৩৩ সালে বার্লিনে তাঁর বইগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।[130] রেনল্ডস এই অবদান বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন হেমিংওয়ে যেসব গল্প ও উপন্যাস রেখে গেছেন তা এতো কঠোরভাবে মর্মস্পর্শী যে তা মার্কিন সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে।[131]
জনসংস্কৃতিতে হেমিংওয়ের কল্পকাহিনীসমূহের শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রতিচ্ছবিতে তাঁর প্রভাবের ব্যাপকতা লক্ষণীয়। ১৯৭৮ সালে তাঁর নামানুসারে সোভিয়েত জ্যোতির্বিদ নিকোলাই চের্নিখ আবিষ্কৃত একটি গ্রহাণুর নামকরণ করা হয় ৩৬৫৬ হেমিংওয়ে।[132] রে ব্র্যাডবারি রচিত দ্য কিলিমাঞ্জারো ডিভাইস বইতে হেমিংওয়ে নামে একটি চরিত্র কিলিমাঞ্জারো পর্বতের শীর্ষে আরোহণ করে। ১৯৯৩ সালের রেসলিং আর্নেস্ট হেমিংওয়ে আইরিশ ও কিউবান দুজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে নির্মিত, এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন রবার্ট ডুভল, রিচার্ড হ্যারিস, শার্লি ম্যাকলেইন, সান্ড্রা বুলক ও পাইপার লরি।[133] রেস্তোরাঁ ও বারের নামকরণেও তাঁর প্রভাব রয়েছে, অসংখ্য রেস্তোরাঁর নাম "হেমিংওয়ে" এবং অ্যাক্রস দ্য রিভার অ্যান্ড ইনটু দ্য ট্রিজ বইয়ের অনুকরণে "হ্যারিস" নামক বারের অধিক্য দেখা যায়।[134] হেমিংওয়ের পুত্র জ্যাক এক ধরনের আসবাবপত্রের প্রচার করেন, যাতে টেবিলের পাশে "কিলিমাঞ্জারো" ও "ক্যাথরিন" স্লিপ-কভারের সোফা রয়েছে। মন্টব্ল্যাঙ্ক হেমিংওয়ে ঝর্ণা কলমের প্রবর্তন করে এবং এক ধরনের হেমিংওয়ে সাফারি কাপড়ের প্রচলন হয়।[135] প্রকাশ্যে তাঁর প্রভাবের স্বীকৃতি প্রদান ও তাঁর লেখনীর ধরন অনুকরণের চেষ্টার জন্য ১৯৭৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইমিটেশন হেমিংওয়ে কম্পিটিশন চালু হয়। প্রতিযোগীদের হেমিংওয়ের খুবই বাজে লেখার খুবই ভালো এক পাতা জমা দিতে বলা হয় এবং বিজয়ীকে ইতালিতে হ্যারিস বারে আমন্ত্রণ জানানো হয়।[136]
নির্বাচিত রচনাবলি
দ্য সান অলসো রাইজেস (১৯২৬)
আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস (১৯২৯)
ফর হুম দ্য বেল টোলস (১৯৪০)
দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী (১৯৫১)
টীকা
তথ্যসূত্র
গ্রন্থপঞ্জি
বিষয়শ্রেণী:১৮৯৯-এ জন্ম
বিষয়শ্রেণী:১৯৬১-এ মৃত্যু
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ঔপন্যাসিক
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ছোটগল্পকার
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন নোবেল বিজয়ী
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন প্রাবন্ধিক
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন রোমান ক্যাথলিক
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন শিকারী
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সাহিত্যিক
বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সাংবাদিক
বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক
বিষয়শ্রেণী:পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%20%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
466,
1388,
2827,
3750,
5162,
6824,
8825,
11232,
12466,
13346,
15041,
16011,
17558,
19004,
19960,
20973
],
"plaintext_end_byte": [
465,
1372,
2826,
3749,
5139,
6823,
8801,
11231,
12438,
13345,
15017,
16010,
17557,
18991,
19959,
20963,
21000
]
} | Kapan Operasi hari Kiamat terjadi ? | Operasi Hari Kiamat | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
151
],
"minimal_answers_end_byte": [
159
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Dalam Operasi hari Kiamat, Divisi 1 Lintas Udara Inggris bertindak sebagai kekuatan polisi dan militer selama pendudukan sekutu di Norwegia pada bulan Mei 1945, segera setelah kemenangan di Eropa selama Perang Dunia Kedua. Divisi ini memelihara hukum dan ketertiban sampai kedatangan sisa Satuan 134, unit pendudukan. Selama di Norwegia, divisi ini bertugas mengawasi penyerahan pasukan jerman di Norwegia, serta mencegah sabotase vital militer dan fasilitas sipil.
Instrumen Penyerahan Jerman disampaikan pada 8 Mei pada Jenderal Franz Böhme, komandan semua pasukan jerman yang ditempatkan di Norwegia, dan Divisi Lintas Uddara 1 mendarat di dekat Oslo dan Stavanger antara 9 Mei dan 11 Mei. Sebagian besar pesawat transportasi yang membawa divisi mendarat dengan selamat, tapi tiga pesawat jatuh dengan sejumlah korban jiwa. Divisi ini menghadapi sedikit perlawanan jerman seperti yang diduga. Tugas operasional termasuk menyambut kembali Raja Haakon VII dari Norwegia, menangani para tahanan perang Sekutu, menangkap penjahat perang dan mengawasi pembersihan ladang ranjau. Divisi ini mengkonfirmasi kematian para anggota pasukan lintas udara Inggris yang ambil bagian dalam Operasi Pertama, Sebuah upaya gagal untuk mengganggu program senjata atomnya Jerman pada bulan November 1942. Divisi ini kembali ke Inggris pada akhir agustus dan dibubarkan dua bulan kemudian.
Latar belakang
Sejak tahun 1943, Sekutu Barat telah mengembangkan rencana untuk masa pendudukan Norwegia setelah Jerman menyerah, bernama kode Operasi Rasul, .[1] Satuan 134, unit pendudukan, terdiri dari pasukan norwegia yang ditempatkan di Skotlandia, serta kontingen pasukan Inggris kontingen (awalnya Divisi Infanteri ke-52 (Lowland)), beberapa pasukan Amerika,[2] dan 12,000 pasukan polisi norwegia yang saat itu ditempatkan di Swedia yang netral.[3] Dalam keadaan darurat, Markas Besar Komando Tertinggi Pasukan Ekspedisi Sekutu akan mengerahkan pasukan ke Norwegia dari Jerman.[4] Keseluruhan operasi berada di bawah Markas Komando Skotlandia,[2] dibawah komando Jenderal Andrew Thorne sejak 7 Mei 1941.[5] salah Satu alasan di balik penunjukan Thorne pada Komando Pasukan Skotlandia, yang ia dianggap sebagai "dibuang ke Skotlandia",[5] mungkin adalah Thorne dianggap mengenal Adolf Hitler, mereka telah bertemu beberapa kali ketika Thorne menjadi Atase Militer Inggris di Berlin pada tahun 1934 dan 1935, Hitler menganggap diri dan kemampuan militer Thorne sangat tinggi.[6] Setelah mengalami serangan-serangan oleh Pasukan Komando Inggris di Norwegia pada tahun 1941, Hitler telah memerintahkan bala bantuan yang besar ke Norwegia, dan Komando Tertinggi Pasukan Inggris berharap bahwa Thorne sebagai Komandan Pasukan Skotlandia akan "membantu Fuhrer memusatkan perhatian pada ancaman yang pada area Scandinavia" dan Norwegia pada khususnya.[6]
Ada dua skenario yang dipertimbangkan dalam perencanaan Operasi Rasul. Pertama, dikenal sebagai 'Rankin C (Norwegia)' didasarkan pada asumsi bahwa semua pasukan jerman menduduki Norwegia akan menyerah sebagai bagian penyerahan diri umum tanpa syarat Jerman. Yang kedua dikenal sebagai 'Rankin B' dan diasumsikan bahwa tidak ada penyerahan diri dan hanya sebagian dari Norwegia akan ditinggalkan oleh Jerman dalam rangka memperkuat pasukan mereka yang ditempatkan di utara-barat Eropa untuk melawan gerak maju Sekutu di sana; dalam skenario ini, Satuan 134 akan menhadapi perlawanan berat dari Jerman.[1] Pengembangan rencana pembebasan dan pemerintahan Norwegia diperumit oleh sulitnya memprediksi apakah pendaratan akan dihadang oleh pasukan jerman dan sejauh mana kerusakan terjadi akibat pemboman Sekutu dan taktik "bumi hangus" Jerman. Akibatnya, perencanaan untuk pemerintahan Norwegia menjadi rinci dan fleksibel.[7]
Kedua skenario 'Rankin' sangat sulit dilaksanakan oleh Thorne, karena pasukan yang dialokasikan Satuan 134 tidak berkualitas tinggi; dari akhir tahun 1943 dan seterusnya sebagian besar sumber daya militer didedikasikan untuk kampanye perang di utara-barat Eropa. Pada bulan September 1944 Thorne bahkan kehilangan Divisi ke-52 Lowland, yang gabungkan ke Tentara Lintas Udara ke-1 Sekutu oleh Departemen Peperangan dan dialokasikan untuk Operasi Market Garden.[8] Thorne kemudian diberikan Divisi Lintas Udara ke-1, di bawah komando Mayor Jenderal Roy Urquhart. Namun, karena divisi ini telah menderita korban berat selama Operasi Market Garden, divisi ini tidak akan siap tempur sampai 1 Mei 1945 setelah diperkuat. Dalam rangka untuk memperkuat pasukannya, Thorne karena itu harus bergantung pada Milorg, Pasukan Perlawanan Norwegia .[1] Para perencana urusan sipil Sekutu menjalin kontak yang sangat erat dengan Pemerintah norwegia di pengasingan yang berbasis di London serta Milorg.[7] Sebagai akibatnya, pada akhir perang, Milorg telah lama bersiap untuk kedatangan pasukan Sekutu; 40,000 anggotanya telah dipersenjatai dan terlatih, serta dipimpin oleh lebih dari 100 agen Operasi Khusus Eksekutif yang diterjunkan ke Norwegia, dan Milorg bersiap mencegah sabotase pada pusat komunikasi penting dan fasilitas penting lainnya oleh pasukan jerman jika mereka melawan pasukan Sekutu.[9]
Awal
Persiapan Sekutu
Pada awal Mei, Divisi Lintas Udara ke-1 telah diperkuat, meskipun kebanyakan anggotanya adalah pasukan pengganti minim pengalaman. Brigade Parasut ke-4 telah dibubarkan dan batalyon-batalyonnya bergabung dengan batalyon-batalyon dari Brigade Parasut ke-1 setelah hasil Pertempuran Arnhem.[10] Ia digantikan oleh Brigade Parasut ke-1 Polandia Merdeka.[2] Kompi Parasut Norwegia juga digabungkan Divisi Lintas Udara ke-1.[11] Namun, pada 4 Mei, Urquhart diperintahkan mengirim Brigade Parasut ke-1 Polandia Merdeka ke Dunkirk, dan untuk melepaskan Brigade Parasut ke-1 dari divisi; salah satu batalyon brigade ini akan segera diangkut ke Denmark untuk tugas pendudukan, dengan sisa Brigade yang tersisa di Inggris sebagai pasukan cadangan. Pada saat yang sama sisa Divisi itu diberitahu bahwa mereka akan segera diangkut melalui udara ke Norwegia sebagai bagian dari pasukan pendudukan, dengan Special Air Service Brigade sementara melekat pada divisi untuk menggantikan Brigade Parasut Ke-1. Urquhart memberitahu Thorne bahwa Divisi akan siap untuk penugasan dalam jangka 48 jam, lebih cepat daripada yang diharapkan Thorne dan stafnya.[2][12] Saat memasuki Norwegia, divisi ini akan bertanggung jawab menjaga hukum dan ketertiban di daerah yang diduduki, memastikan bahwa unit jerman mngikuti syarat-syarat penyerahan diri, mengamankan dan melindungi lapangan udara yang telah direbut, dan terakhir mencegah sabotase terhadap fasilitas militer dan bangunan sipil. Untuk mencapai hal ini, divisi dibagi menjadi tiga brigade: Brigade Pendaratan Udara ke-1, Special Air Service Brigade dan Brigade Artileri ad hoc yang dibentuk dari unsur-unsur pasukan divisi.[13]
Brigade Pendaratan Udara ke-1 akan mendarat di dekat ibukota norwegia, Oslo, dan menduduki kota itu bersama unsur-unsur lain dari Satuan 134. Komandan Brigade, Brigadir R. H. Bower, akan menjadi Komandan daerah Oslo selama Divisi bertugas di Norwegia. Oslo dipilih karena merupakan ibukota norwegia, serta menjadi pusat dari Pemerintahan Norwegia dan Administrasi Jerman. Demikian pula, Brigade Artileri akan mendarat di bandara Stavanger dan komandan Brigadir R. G. Loder-Symonds akan menjadi Komandan daerah Stavanger. Stavanger adalah lapangan terbang yang paling dekat ke Inggris, dan juga akan berguna sebagai pangkalan pesawat tempur. Terakhir, Special Air Service Brigade akan juga mendarat di Stavanger, dari mana ia akan maju dan menduduki daerah sekitar Kristiansand. Kota adalah sebuah pelabuhan penting bagi Angkatan Laut Kerajaan Inggris untuk menyisir perairan sekitarnya bersih dari ranjau laut.[14] Operasi-operasi divisi akan dibagi menjadi empat tahap selama empat hari berturut-turut. Pada 8 Mei, lima belas pesawat transport akan membawa pasukan pendahulu ke lapangan udara di Gardermoen, dekat Oslo, dan lapangan terbang Sola melalui Stavanger; ini harus selesai pada malam hari. Tahap kedua, pada 9 Mei, direncanakan tujuh puluh pesawat transport Handley Page Halifaxes mengangkut Brigade Pendaratan Udara ke-1 dan unsur-unsur Markas Divisi Lintas Udara ke-1 ke kedua lapangan udara, dan tujuh puluh enam pesawat transport C-47 Dakota mendarat Brigade Artileri di Sola. Pada 10 Mei, tahap ketiga, Special Air Service Brigade akan mendarat di Sola, dan terakhir perbekalan dan kendaraan akan mendarat di lapangan udara pada 11 Mei.[15] Sebelum Divisi mulai mendarat di Norwegia, beberapa perwakilan Sekutu yang khusus dipilih, yang dikenal sebagai 'Bentara' akan menemani delegasi diplomatik jerman ke Norwegia; hanya setelah mereka mengisyaratkan bahwa lapangan udara aman untuk pendaratan, maka pesawat transportasi pertama lepas landas dari Inggris.[16]
Persiapan Poros Jerman
Pasukan jerman telah memulai pengumduran bertahap ke bagian Finlandia paling utara pada awal September 1944 dalam Operasi Birke. Setelah nilai strategis wilayah Petsamo telah mengalami penurunan, Jerman memutuskan pada awal oktober 1944 untuk meninggalkan Finlandia dan Norwegia utara dan telah mulai Operasi Nordlicht (Cahaya Utara), mundur ke posisi yang dipersiapkan di Lyngen di Norwegia utara.[17] Operasi Nordlicht berakhir pada awal november 1945, dengan hanya beberapa mil wilayah finlandia yang masih tersisa di tangan jerman, dan beberapa garnisun terisolasi di wilayah norwegia Finnmark.[18] Pasukan Soviet menduduki bagian timur Finnmark, dan uni SOVIET meminta agar pasukan Sekutu Barat didaratkan untuk mendukung mereka. Hanya satu kompi dari satuan infanteri pegunungan Norwegia yang bisa dicadangkan untuk tugas ini, meskipun pemerintah Inggris dan norwegia menyediakan perbekalan pangan bagi penduduk sipil di daerah tersebut.[19] Karena kegagalan serangan baru-baru ini di Ardennes dan fakta bahwa ada beberapa jenis baru kapal U-Boat yang siap untuk digunakan, posisi jerman di Norwegia menjadi strategis bagi Grand Admiral Karl Dönitz, Komandan Tertinggi dari Komando Tinggi angkatan Laut sebagai cara untuk mempertahankan peperangan kapal selam perang melawan Sekutu. Kondisi-kondisi juga penting bagi Adolf Hitler, yang menolak permintaan Jenderal Heinz Guderian bahwa divisi-divisi jerman harus ditarik dari Norwegia untuk digunakan dalam pertahanan Jerman, dan dari Böhme di bulan Maret bahwa Norwegia utara harus ditinggalkan dan pembangunan sarang kapal selam harus dihentikan karena kekurangan materi bangunan.[20] Ia khawatir bahwa setiap penarikan pasukan Jerman akan menggoda Swedia untuk memasuki perang dan mendukung Sekutu, dan bahwa setiap penarikan dari utara Norwegia akan membahayakan pangkalan U-Boat di bagian selatan negara itu.[21] Sampai hari-hari terakhir perang, Dönitz percaya bahwa Norwegia harus dipertahankan dalam rangka meluncurkan serangan kapal selam terhadap kapal-kapal Sekutu, dan pada 3 Mei Komando Peperangan Laut Kriegsmarine memberitahu staf U-Boat bahwa bahkan jika Jerman sendiri diduduki, armada kapal selam masih harus berlayar dari Norwegia. Hanya pada 4 Mei terbit perintah yang dikeluarkan oleh Oberkommando der Wehrmacht bahwa semua pasukan jerman di Norwegia untuk menghindari setiap tindakan yang bisa memprovokasi pasukan Sekutu.[21]
Pada Mei 1945, semua pasukan jerman di Norwegia berada di bawah komando Tentara Pegunungan ke Dua Puluh, yang telah menyerap Tentara Norwegia pada tanggal 18 desember 1944. Ini diperintahkan oleh Jenderal Franz Böhme, yang menggantikan Jenderal Lothar Rendulic sebagai Panglima Angkatan Bersenjata, Norwegia pada bulan januari 1945.[22] Pada awal Mei, Böhme memberitahu Grand Admiral Karl Dönitz, Komandan Tertinggi dari Komando Tinggi angkatan Laut dan presiden jerman yang baru, sejak kematian Adolf Hitler, bahwa semua pasukan di Norwegia terdiri dari sebelas divisi dan lima brigade.[20] Secara total, mereka memiliki gabungan kekuatan antara 350,000[3] dan 380,000 pasukan.[20] Juga ada sejumlah U-boat yang ditempatkan di pangkalan angkatan laut di Norwegia, termasuk 10 model Mark XXI dan 17 model Mark XXIII .[21] Namun meskipun pasukan Sekutu telah memasuki Jerman, dan isu dan spekulasi yang marak beredar tentang kemungkinan invasi ke Norwegia, Tentara Pegunungan ke Dua Puluh tampaknya hampir dalam status masa damai; Böhme telah mengeluh pada bulan januari bahwa ada beberapa unit Tentara yang mengambil libur pada hari minggu, dan ia tidak dapat berbuat banyak untuk menghentikan itu.[22]
Masa Pendudukan
Kedatangan
Pada jam-jam awal tanggal 7 Mei, Dönitz memberi perintah agar semua pasukan militer jerman untuk menyerah tanpa syarat, dan pada 8 Mei Instrumen penyerahan jerman disampaikan kepada Jenderal Böhme. Jerman diperintahkan menarik diri dari semua kota-kota norwegia dan perbatasan swedia dan secara bertahap ditempatkan ke wilayah-wilayah yang ditentukan untuk perlucutan senjata; secara bersamaan, semua pejabat senior partai Nazi dan aparat keamanan harus segera ditangkap.[23] Satuan 134 sangat kalah jumlah selama masa tugasnya; total 30.000 pasukan Sekutu akan mengawasi perlucutan senjata lebih dari 350.000 pasukan jerman.[3] Ada kekhawatiran bahwa pasukan jerman mungkin menolak untuk menyerah dan dan melawan pasukan pendudukan Sekutu, dan ada kekhawatiran tertentu tentang apa yang yang mungkin dilakukan personil detasemen besar Kriegsmarine di pelabuhan Trondheim .[24]
Meskipun tahap pertama dari operasi yang telah dijadwalkan untuk 8 Mei, tidak ada kabar dari 'Bentara' dan Operasi Hari Kiamat ditunda selama dua puluh empat jam. Kontak berhasil dilakukan pada 9 Mei dan unit pertama dari Satuan 134 tiba di Norwegia untuk memulai pekerjaan mereka,[23] termasuk elemen pertama dari Divisi Lintas Udara ke-1 dan Kompi Parasut norwegia.[11] Kecuali salah satu dari, semua pesawat angkut tahap pertama lepas landas dan mendarat di Norwegia tanpa insiden.[16] Tahap II dipercepat untuk memberikan kompensasi atas keterlambatan, dengan pesawat dijadwalkan untuk meninggalkan Inggris antara 02:00 dan 13:30. Sayangnya, setelah sekitar 07:00 cuaca buruk di atas Oslo menyebabkab banyak pesawat terbang transportasi menuju lapangan terbang di sana kembali ke Inggris, walaupun semua unit tujuan Stavanger mendarat dengan sukses.[25] Beberapa pesawat mendarat dengan darurat, dan satu orang dilaporkan hilang. Sisa pesawat lepas landas lagi pada 11 Mei, dengan satu kecelakaan saat lepas landas dan satu hilang; dari dua pesawat yang hilang, satu mendarat di lapangan terbang lain di Norwegia, tetapi yang saru lain telah jatuh dan menewaskan semua penumpangnya, termasuk Wakil Marsekal Udara Scarlett-Streatfield.[25] Pesawat-pesawat fase dua tidak mengalami kecelakaanyang diderita korban tidak lebih, meskipun sejumlah pesawat lagi-lagi tertunda oleh cuaca buruk di atas lapangan udara norwegia . Divisi Lintas Udara ke-1 kehilangan satu perwira dan tiga puluh tiga prajurit tewas, dan satu prajurit terluka, Royal Air Force kehilangan enam tewas dan tujuh luka-luka. Semua kerugian ini terjadi setelah penyerahan diri umum telah diumumkan.[25]
Tugas-tugas Pendudukan
Rencana awal divisi membutuhkan dua batalyon lintas udara bergerak maju ke Oslo pada 10 Mei, tapi penundaan yang terjadi mengakibatkan hanya sebagian pasukan tiba pada tanggal ini. Maka, dua peleton dari Batalion ke-2 Resimen South Staffordshire dan empat Polisi Militer dengan sepeda motor mengawal Urquhart, yang naik mobil staf jerman mobil sitaan. Para prajurit ini, meskipun agak gugup mengingat jumlah mereka sedikit, disambut antusias oleh penduduk norwegia di Oslo.[26] Satu-satunya perlawanan datang dari beberapa kapten U-boat di Trondheim. Selain dari itu, Division Lintas Udara Ke-1 tidak menghadapi masalah dari pasukan jerman di Norwegia, yang bekerjasama sepenuhnya dengan pasukan lintas udara. Mereka dilucuti tanpa perlawanan, membiarkan diri mereka untuk dipindahkan ke kamp-kamp pengumpulan dan juga membantu membersihkan ladang-ladang ranjau yang telah mereka tanam selama masa pendudukan mereka, yang mengakibatkan beberapa korban jerman .[24][26]
Sampai kedatangan unit lain dari satuan 134, serta Markas Pasukan Sekutu, Norwegia, Mayor Jenderal Urquhart dan staf markas besar memiliki kontrol penuh atas semua kegiatan di norwegia. Ini berarti bahwa itu Urquhart yang menyambut putra Mahkota Olaf dari Norwegia dan tiga menteri yang mewakili Pemerintah norwegia ketika mereka tiba dengan Royal Navy cruiser,[11][27] dan divisi juga mengambil bagian dalam perayaan ketika Raja Haakon VII dari Norwegia kembali ke negaranya dari pengasingan.[26] tugas-tugas Lain untuk divisi termasuk penangkatan penjahat perang, memastikan pasukan jerman tetap berada kamp-kamp mereka dan area penahana mereka, dan, dengan bantuan Kesatuan Zeni Kerajaan , membersihkan bangunan-bangunan dari ranjau dan jebakan. Mereka juga diberikan tanggung jawab untuk membantu personil Sekutu yang telah, sampai jerman menyerah, menjadi tahanan perang di Norwegia, sejumlah besar dari mereka adalah pasukan rusia.[26] Ada lebih dari 80.000 rusia ex-tahanan perang, dan banyak membutuhkan perawatan medis karena kondisi yang tidak manusiawi dari kamp-kamp tempat mereka ditahan. Ketika parade diadakan pada akhir juni untuk merayakan pembebasan Sekutu, banyak orang Rusia berpartisipasi, memakai seragam dengan lencana Bintang Merah yang mereka buat sendiri.[24] Selama penugasan Divisi di Norwegia, sekitar 400 pasukan di bawah komando UMayor Frederick Gough untuk sementara dipindahkan ke Belanda, di mana mereka turut ambil bagian dalam Hak Mereka Adalah Kemuliaan, sebuah film dokumenter tentang Pertempuran Arnhem.[28]
Pasukan Perlawanan Norwegia bekerjasama sepenuhnya dengan Divisi Lintas Udara Ke-1, seringkali menjadi penghubung dan melakukan tugas penjagaan, dan masyarakat norwegia secara keseluruhan memberikan sambutan hangat pada pasukan lintas udara.[26] pasukan Inggris yang awalnya menguasai kontrol atas Oslo, norwegia, Stavanger dan Kristiansand bersama dengan pihak perlawanan dan, dengan derajat lebih jarang, pihak berwenang lokal norwegia mengambil kendali seluruh negara dari Jerman.[29] Pihak perlawanan juga membantu divisi menemukan nasib pasukan Divisi Lintas Udara Ke-1 yang ditugaskan untuk Operasi Freshman, usaha gagal pada bulan November 1942 untuk menyabotase Norsk Hydro pabrik kimia di Vemork, yang menghasilkan air berat untuk program senjata atomnya Jerman Nazi. Dua glider telah ditugaskan untuk operasi, dan keduanya telah mendarat darurat setelah dilepaskan dari pesawat penarik mereka.[30] orang-orang yang selamat dari pendaratan darurat dieksekusi setelah ditangkap.[31][32] Meskipun penduduk lokal norwegia tidak bisa mencegah eksekusi para tahanan, mereka kemudian mengambil jasad mereka dan menguburkannya di kuburan yang ditandai. Ketika tiba, Divisi Lintas Udara Ke-1 diberitahu tentang nasib pasukan operasi tersebut dan bekerja sama dengan pemerintah norwegia untuk mendirikan sebuah monumen dan semua prajurit yang gugur dikebumikan dengan upacara penghormatan militer penuh di Stavanger dan Oslo.[33][34]
Hasil Akhir
Unit-unit yang tersisa dari Satuan 134 masuk Norwegia selama sisa Mei, secara bertahap memperkuat pasukan lintas udara. Pada 10 Mei elemen dari 12.000 pasukan kepolisian norwegia mulai memasuki negara dari Swedia,[35] direkrut dari para pemuda Norwegia yang telah melarikan diri ke Swedia setelah pendudukan Norwegia pada tahun 1940.[3] Jenderal Thorne tiba dengan sisa markas besar nya pada 13 Mei, dan mengambil posisinya sebagai Komandan tertinggi Pasukan Pembebasan Sekutu . Dalam dua minggu ke depan unsur-unsur Satuan 134 tiba, termasuk resimen gabungan Amerika, brigade norwegia, dan dua brigade infanteri Inggris terdiri dari para penembak anti pesawat yang telah dilatih ulang untuk menggantikan Special Air Service Brigade. Thorne adalah Kepala Pemerintahan de facto Norwegia sampai 7 juni, ketika Raja Haakon kembali, dan kemudian sampai keberangkatannya pada akhir oktober adalah Komandan Tertinggi dari semua kekuatan militer di Norwegia.[35]
Divisi Lintas Udara Ke-1 ditempatkan di Norwegia sampai akhir musim panas.[26] Ia kembali ke Inggris pada akhir agustus, dan personilnya diberi cuti. Rencana awal bagi Divisi tadinya ditempatkan sebagai Cadangan Strategis Kerajaan, karena diyakini bahwa Divisi Lintas Udara ke-6 akan diperlukan di Teater Timur Jauh; namun, ketika Jepang menyerah pada bulan Agustus, kebutuhan untuk 6 Airborne Division ditransfer hilang. Ini menciptakan masalah, karena ada dua divisi lintas udara, tapi hanya satu yang masuk dalam rencana Tentara Reguler pasca-perang Inggris .[36] Meskipun tradisi senioritas mungkin mengisyaratkan Divisi Lintas Udara ke-6 yang akan dibubarkan sebagai satuan lintas udara yang lebih junior, kondisi Divisi Lintas Udara ke-1 masih kekurangan personil setelah Operasi Market Garden dan tidak terlatih. Dengan demikian, Divisi ini menghabiskan dua bulan ke depan dalam pelatihan dan mentransfer pasukannya ke Divisi Lintas Udara ke-6 , dan kemudian dibubarkan pada 15 November 1945.[37]
Catatan
Kategori:Konflik tahun 1945 | https://id.wikipedia.org/wiki/Operasi%20Hari%20Kiamat |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
282,
1358,
1971,
2784,
4041,
4405,
6383,
6730,
7056,
8830,
8866,
8933,
9367,
9715,
9841,
11056,
12087,
12527,
14263,
14607,
15251,
15611,
15825,
15882,
16201,
17098,
17231,
17451,
17548,
18231,
18391,
18536,
19338
],
"plaintext_end_byte": [
274,
1350,
1970,
2783,
4040,
4404,
6382,
6729,
7012,
8829,
8857,
8906,
9365,
9683,
9781,
11055,
12086,
12478,
14262,
14544,
15250,
15558,
15824,
15858,
16160,
17060,
17196,
17423,
17496,
18211,
18344,
18535,
19311,
19485
]
} | フェンダー社が設立されたのはいつ | フェンダー (楽器メーカー) | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
2
],
"minimal_answers_start_byte": [
1368
],
"minimal_answers_end_byte": [
1375
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
フェンダー([Fender Musical Instruments Corporation]error: {{lang}}: text has italic markup (help))は、レオ・フェンダーが1946年に創業した楽器メーカーである。主にエレクトリック・ギター、アンプの製造を行っている。
概要
本社はアメリカ合衆国アリゾナ州スコッツデールにあり、製造拠点としてカリフォルニア州のコロナ工場、メキシコのエンセナーダ工場を持つ。カスタムショップの所在地や上位機種の製造はコロナ工場で行っている。またその他、スクワイアやアーティストシグニチャーといった廉価版楽器の製造下請け会社としてサミックやサンハン、コルト、ダイナ楽器などが請け負っている。旧社名はFender Electric Instrument Manufacturing Company。エレクトリックギター、エレクトリックベース、ギターアンプの製造販売を行う会社としては同じくアメリカ合衆国のギブソン社などと並んで世界でも屈指の企業として認識されている。また、ソリッドボディのエレクトリックギターを世界で初めて量産したことでも知られる。なおフェンダー・アンプに関しては独立して別稿を設けているため、そちらを参照。
歴史
前身は1938年にレオ・フェンダーがカリフォルニア州フラートンで創業した「フェンダー・ラジオ・サービス(Fender's Radio Service)」で、ラジオ受信機や音響機器の修理を行っていた。1945年にフェンダーはドク・カウフマンと共に「K&Fマニュファクチュアリング」を設立。スティール・ギターとアンプの製造を開始する。しかし1946年、カウマンとの共同経営は解消、1947年社名をフェンダー・エレクトリック・インストゥルメント・カンパニーに改名する。
エレクトリックギターは1920年代後半から数多くの製造業者によって作られていたが、それらの多くは胴体の部分が中空のホロー・ボディと呼ばれる構造であった。また、ソリッド・ボディ(胴体部が中空でない構造)であってもリッケンバッカー社のハワイアン・ギターのように特殊な奏法向けであったり、ポール・ビグスビー製作の通称「ビグスビーギター」のようにオーダーメイドであったりしたため量産型のソリッドボディのエレクトリックギターは存在しなかった。レス・ポールもソリッドボディのギターの開発を進めていたがギブソン社からレスポールモデルが発売されたのは1952年である。
フェンダーは1948年頃にソリッド・ボディのエレクトリックギターの試作品を完成させ、1949年にエスクワイヤーとして発表。1950年にはブロードキャスターを発表、1951年にテレキャスターに改称、その理由はグレッチ社のドラムに同音の商標(綴りは「Broadkaster」)のモデルが存在したからである。対応を迫られたフェンダー社は極短期間だがヘッドのデカールのモデル名を切り取って販売を続けた。これは通称「ノーキャスター」と呼ばれる。実質的にはテレキャスターが世界初の量産型のソリッドボディ型のエレクトリックギターと言える。同年世界初のエレクトリックベースであるプレシジョンベースを発表。フレットを採用し正確な音程を得ることができるプレシジョンベースは当時革命的であった。1954年にはストラトキャスターを発表。その後も1958年にジャズマスター 、1960年にはジャズベース、1962年に当時の最高級機種であるジャガーを発表するなど、現在も多くのミュージシャンに愛用されている名器を生み出した。
フェンダーのギターやベースの特徴としてソリッドボディの量産以外にボルトオンによるデタッチャブル・ネック方式が挙げられる。従来のセットネック方式(膠での接着)に比べ格段に修理などが容易になり、この方式は現在多くのギターメーカーで採用されている。
エレクトリックギター産業の先駆者として多くの楽器を発表したフェンダーだが、1965年にCBS社に売却され法人としての「フェンダー社」は無くなる。また、同年V.C Squier社を買収する。同時にフェンダーは経営者から技術顧問として同社に残るも僅か数年で退社している。健康上の理由と新たに開発した技術を新体制のフェンダー社が積極的に採用しなかったためとも言われている。その後は楽器業界の低迷による売り上げの低下による業績不振、さらにフェンダー社製品の品質低下に加え、廉価なコピーモデルの横溢によって自社の市場が脅かされるなど企業として弱体化が進む事態を迎え、1980年代初め頃にはストラトキャスターなど看板商品が一時生産を終了するにまで至った。
1982年に日本での販売拠点として、フェンダーとフジゲンを筆頭株主とし、山野楽器や神田商会などが出資した株式会社フェンダージャパンを設立する。
1985年、CBS社の楽器部門の撤退により、ヤマハなどに在籍していたビル・シュルツを最高経営責任者に迎えてフェンダー社が再興される。同年に製造拠点を失っていたため、フジゲンの技術支援のもとコロナ工場を建設。
1987年に新たな工場拠点としてフェンダーとフジゲンでそれぞれ4800万円を共同出資し、メキシコ法人のフェンダーメキシコを設立する。同年にオーダーメイド部門のフェンダー・カスタム・ショップを設立。
1997年にバブル崩壊後、多大な負債を抱えていたフジゲンがフェンダージャパンとフェンダーメキシコの株式を売却し、フェンダージャパンは吸収合併され消滅、フェンダーメキシコは完全子会社となる。
2012年に、新規株式公開(IPO)を申請。同社は2.4億ドルの長期負債を抱えており、IPOで調達した資金は負債の返済に充てると見られている。IPO申請時の株式保有率は、米ウエストン・プレシディオが42.92%、山野楽器が14.28%、神田商会が12.85%となっている。
2015年3月20日、山野楽器との販売代理店契約を終了し、フェンダーが日本に現地法人を立ち上げることを発表した。4月1日より新たに立ち上げられたフェンダーミュージックジャパン株式会社が業務を引き継ぐ。
フェンダー・カスタムショップ
フェンダー・カスタム・ショップはカリフォルニア州のコロナ工場の一角に構え、顧客からギター/ベースのカスタムオーダーを受注し製作する部署である。
レオ・フェンダーが去った後、楽器制作に精通したスタッフが乏しく技術力が低下していたため、1987年にフジゲンから杉本眞(現Sugi Guitars)ら技術指導チームを招き、ハイエンドを製造する前身の部署が設立された。またスタッフも外部からJohn Suhr、John Page、Larry L. Brooks、Michael Stevensら著名なビルダーを招き徐々に名声を広げていき、現在の形へとなった。あえて古い製法を復活させたり、レギュラーラインには使用されない銘木を使用したギター、長年の使用によって付いた傷や汚れ、錆などを再現し、使い込まれたような加工(エイジング加工)する新たな技術を投入するなど、特別仕様となる。有名ギタリスト本人が使用しているアーティストモデル、及びユーザーから発注を受けた特注品、楽器ショーなどに展示されるワンオフ生産のギターはカスタムショップで製作されている。近年では、プロのアーティストが使用していたギターの傷や特徴などを細かく精査し、細密に再現した「トリビュートシリーズ」などがある。
マスタービルダーが手がける製品にはそれぞれのビルダーならではの嗜好や個性が反映された物が多い。昇進や異動等で製造職から離れたビルダーや、退社後に独立して自身のブランドを立ち上げるビルダーも数多く存在する。
役職としては以下の
通り
製品を大別すると以下の3種類
主な量産シリーズ
フェンダーは現在メインの生産拠点であるカリフォルニア州のコロナ市の工場と廉価版製造が主であるメキシコのエンセナダ市に自社工場を構えている。日本の楽器店等ではコロナ工場製造のものをフェンダーUSA、エンセナダ工場生産のものをフェンダーメキシコと呼んでいるが、実際にはそういった名称は存在しない。
その他、傘下のブランドにはギルド、グレッチ、ジャクソン、シャーベル、ビグスビー、タコマ、SWR、SUNN等がある。2014年にギルド・ギター・カンパニーがコルドバ・ミュージック・グループに、グレッチがdwにそれぞれ売却された。
フェンダー・ジャパン
1982年から2015年3月まで存在した日本製ブランド。
フェンダー・ジャパン株式会社(1982〜1997年)
1970年代以降、日本の楽器市場でフェンダーギターの海賊版が出回り始めた。フェンダー社はその主な製造先であった東海楽器製造に対して訴訟を起こし販売停止に追い込むなどの対抗手段が取られたが、価格の面で海賊版を完全に駆逐することができなかった。そのため、最終手段として自身も日本に製造拠点をおいて低価格なギターを販売することにし、1982年に当時の国内代理店であり筆頭株主でもあった神田商会の仲介の元、アイバニーズやグレコなどの下請け製造をしていた富士弦楽器製造(現フジゲン)とフェンダーの共同子会社のフェンダー・ジャパン株式会社を設立した。この時、当時の筆頭株主であった山野楽器と神田商会も共に共同出資を行い、ホテル・グランドパレスにて設立発表も行われた。
設立後は、富士弦楽器製造が製造担当となり国内向けの廉価版シリーズをスクワイア(組み立てはダイナ楽器)、ワンランク上の製品をフェンダー・ジャパンとして販売開始された
[1]。
設立当初のフェンダー社の計画は、日本国内のコピー品の駆逐とスクワイア・ブランドの廉価品のアメリカ国内及び海外販売を目的としたものだった。
(当時のドル高と上昇した労働賃金、老朽化した生産設備では価格面での対抗は敵わず、将来のユーザーを呼び込むためのスチューデントモデルの充実を図る必要があり、当時の日本の技術、労働賃金では十分に可能だった。)
しかし、1985年にCBSがフェンダー社を売却し、当時社長であったビル・シュルツが経営権を買収したが工場は含まれなかった為製造拠点を失っている。
その為、新工場が設立されるまでの間、日本のフジゲンが製造した製品がフェンダー製品として世界中で販売された。海外向けのスクワイア(1983年~1987年まで)および、Fender USA Vintage re-issue series (1987年まで)の製造は、フジゲンである。
バブル崩壊後、フェンダーメキシコなどの設備投資で大きな負債を抱えていたフジゲンが1997年にフェンダーメキシコ社と共にフェンダー・ジャパン社を売却。完全子会社化したフェンダーはフェンダーメキシコ社のみを残し、フェンダージャパンはスクワイアへと統合され幕を閉じられた。
神田商会ブランド(1997年〜2015年3月)
フェンダー・ジャパンが解散後、代理店であり株主でもあった神田商会が新たなビジネスとして1997年中にフェンダーから商標のコピーライセンスの使用許諾を得て、『フェンダー・ジャパン』を自社のプライベートブランドとして再興させた。開業当初は東海楽器製造や寺田楽器、アトランシアなどの外注で木工などの製造を行い、当時自社ブランドなどの楽器組み立て工場として持っていた子会社のダイナ楽器で組み込みをし販売をするというスタイルであった。[2]その後、2007年にダイナ楽器が設備投資を行い木材加工も可能にし、自社生産のものを『Made in Japan』と刻印するようになった。2008年には完全に自社グループ内で製造するようになった[3]。両者を見分けるポイントはシリアルナンバーであり、フェンダー子会社時代のフジゲン製造のものは「MADE IN JAPAN」、神田商会ブランド以降は木材加工などの製造が外注で組み込みがダイナ楽器のものは「CRAFTED IN JAPAN」、完全にダイナ楽器が製造しているものは「MADE IN JAPAN」表示となっている[4]。アメリカの本家フェンダーには存在しないオリジナルモデルや生産が終了したモデル、マーカス・ミラー、リッチー・コッツェン、イングヴェイ・マルムスティーンなどのアーティストモデル、ムスタング、スティールギター等のマニアックな復刻モデルの発売など、日本独自やニッチな市場にも向けた商品展開が特徴のひとつである。
2015年3月20日、同年4月にフェンダーが日本支社のフェンダーミュージック株式会社を立ち上げに伴い、神田商会とのライセンス契約を3月31日をもって終了し、同時に「Fender Japan」ブランドの終了が発表された。
フェンダーミュージック株式会社(2015年4月〜)
以前からフェンダーの下請け会社でもあったダイナ楽器によるフェンダージャパンの生産ラインは、フェンダーのジャパン・エクスクルーシブ・シリーズとして組み込まれ、4月から販売が開始された。しかしこれは過去にギブソンの製品の輸入代理店が山野楽器からギブソンジャパンに移行された時期と同様に、地方部の販売店のように大量の仕入れが困難な店舗や、他社のコピーモデルを販売している店舗には商品を卸さないという事例が多発しており、問題となっている。
同年7月22日、恵比寿ガーデンホールにて『Fender Launch Party』[5]が開催され、フェンダーの楽器を愛用するアーティストが集結し、今後は輸入代理店を介さずにアメリカから直接日本に届けることが可能になったことを披露した[6]。
フェンダー・ライセンスド・ブランド
現在フェンダーは海賊版対策として自社製品の下請け会社や元下請け会社などに限定して、自社のコピー品の製造をライセンスを与えることで認可している。
主な企業は以下の通り。
製造ギターなど
ここでは派生モデルも別のギターとして扱う。派生モデルが未編集の場合、元のモデルを参照。
過去に製造され現在は製造していないモデルも含む。Fender Musical Instruments Corporation Product List (in English)も参照。
エレクトリック・ギター
ブロードキャスター
エスクワイヤー
テレキャスター
テレキャスター・シンライン
テレキャスター・デラックス
テレキャスター・カスタム
エリート・テレキャスター
セット・ネック・テレキャスター・
カントリー・アーティスト
ストラトキャスター
(ザ・)ストラト
ストラトキャスター・エリート
ストラトキャスター・ウルトラ
ストラト XII
ストラト・エリート
ジャズマスター
ジャガー
ミュージックマスター
デュオソニック
ムスタング
エレクトリック XII
コロナド XII
ブロンコ
LTD
モンテゴ II
スウィンガー
カスタム
マーヴェリック
スターキャスター
プロディジー
パフォーマー
カタナ
リード
サイクロン
サイクロンII
トルネード
アコースティック・ギター
アバロン
ニューポーター
マリブ
レドンド
ワイルド・ウッド
キングマン
エレクトリック・ベース
プレシジョンベース
ジャズベース
ジャガーベース
テレキャスターベース
ミュージックマスター・ベース
ムスタングベース
ベース V
ベース VI
その他
キーボード
ローズ・エレクトリック・ピアノ
真空管型、ギター/ベース・アンプ
バンドマスター
バンドマスター・リヴァーブ
ブロンコ
チャンプ
ヴァイブロ・チャンプ
デラックス・リヴァーブ
ショウマン
デュアル・ショウマン
デュアル・ショウマン・リヴァーブ
スーパー・リバーヴ
スーパー・ツィン・リヴァーブ
ツィン・リヴァーブ
ヴァイブロソニック
ヴァイブロソニック・リヴァーブ
ヴァイブロラックス
ヴァイブロラックス・リヴァーブ
ヴァイブロバーヴ
ベースマン 50
ベースマン 100
ベースマン 135
スーパー・ベースマン
ミュージックマスター・ベースアンプ
エフェクター
フェンダー・ブレンダー
エレクトリック・エコー・チェンバー
エコー・リヴァーブ
イヤフォン・インイヤーモニター
Fenderは、2016年1月にインイヤーモニターメーカーであるAurisonics社を買収し、イヤフォン業界に参入した[7]。
Aurisonics社は、2011年にDale Lottが創業[8]。当時は1名のみだったが、2014年時点で従業員25名規模となり、業務拡大に伴い本社も3倍のサイズの場所に移転している。当時の製品の特徴として、筐体は3Dプリンターを使用して成形し、塗装やドライバー等の組み込みも手作業で行っていた。複数のドライバーが組み込まれているIEM製品について、ネットワークを用いずに音響ダクト等を工夫し、チューニングでバランスを取っている。Fenderに買収された後もこれらの特徴は製品に引き継がれている。
創業者のDale LottはそのままFenderに移籍し、同社のイヤフォン開発を手掛けている[9]。
脚注
外部リンク
- Fender Musical Instruments公式サイト(英語)
- フェンダーミュージック株式会社公式サイト(日本語)
on YouTube
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E3%83%95%E3%82%A7%E3%83%B3%E3%83%80%E3%83%BC%20%28%E6%A5%BD%E5%99%A8%E3%83%A1%E3%83%BC%E3%82%AB%E3%83%BC%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
547,
1209,
2024,
2590,
2730,
3109,
3807,
4383,
4783,
5457,
6119,
6435,
7010,
7287,
8109,
8766,
9323,
9807,
10430,
10792,
11305,
12098,
12732,
13482,
14059,
14533,
14829,
15767,
16222,
16853,
17833,
18554,
18816,
19468,
19761,
20355,
20843,
21389,
21867,
22343,
22827,
23282,
24010,
24613,
24960,
25904,
26545,
27121,
28007,
28664,
29306,
30149,
30502,
31104,
31889,
32218,
32856,
33593,
34421,
34829,
34879,
35286,
35756,
36489,
36890,
37671,
38353,
38987,
40090,
40635,
41305,
41818,
42505,
42607,
44354,
44812,
46079,
46322
],
"plaintext_end_byte": [
546,
1208,
2023,
2589,
2702,
3108,
3806,
4382,
4757,
5456,
6118,
6434,
7009,
7241,
8108,
8765,
9302,
9787,
10386,
10756,
11304,
12097,
12731,
13481,
14058,
14532,
14796,
15766,
16221,
16816,
17806,
18553,
18789,
19467,
19706,
20354,
20809,
21388,
21866,
22305,
22826,
23281,
23976,
24588,
24959,
25903,
26520,
27120,
28006,
28641,
29305,
30130,
30501,
31066,
31888,
32217,
32855,
33592,
34402,
34828,
34878,
35260,
35755,
36479,
36889,
37662,
38352,
38986,
40078,
40634,
41304,
41817,
42504,
42597,
44319,
44799,
46060,
46320,
46361
]
} | Mikä oli Bysantin valtakunnan pääkaupunki? | Bysantin valtakunta | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
611
],
"minimal_answers_end_byte": [
626
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Bysantin valtakunta eli Itä-Rooma ( tai , Politeia tōn Rhōmaiōn; ; "Roomalaisten keisarikunta") oli Rooman valtakunnan itäosa, joka säilyi länsiosan romahdettua 400-luvulla ja jonka valtakausi kesti yli tuhat vuotta aina vuoteen 1453 saakka. Bysanttilainen identiteetti oli yhdistelmä roomalaisuutta, kreikkalaista (hellenististä) kulttuuria ja ortodoksista kristinuskoa. Bysantti katsoi viimeiseen saakka edustavansa keisarillisen Rooman valtakunnan perintöä keisari Konstantinus Suuren luomassa kristillisessä muodossa.[1][2][3][4]
Nimi Bysantin valtakunta on johdettu valtakunnan pääkaupungin Konstantinopolin aiemmasta nimestä Byzantion. Nimitys on puhtaasti historiankirjoituksellinen ja se on kehitetty 1500-luvulla. Valtakunnan asukkaat itse näkivät itsensä roomalaisina (rhomaioi) loppuun saakka, ja nimitys säilyi Kreikassa käytössä 1800-luvulle saakka. Nimitystä Bysantti käytettiin Länsi-Euroopassa lähinnä sen vuoksi, että kyseinen keskiaikainen, myöhäisantiikkisesta Roomasta vähitellen erkaantunut valtakunta haluttiin erottaa historiankirjoituksessa sekä antiikin Roomasta että Kreikasta, joihin suhtauduttiin 1500–1700-luvuilla usein ihannoivasti.[2][3][4]
Bysantin valtakunnan alku ja antiikin Rooman valtakunnan loppu voidaan sijoittaa monella tavalla. Eräänä alkuna voidaan pitää vuotta 330, jolloin Konstantinus Suuri perusti Konstantinopolin Byzantionin kaupungin paikalle. Toinen mahdollisuus on käyttää alkupisteenä keisari Theodosius I:n aikaa 300-luvun lopulta, jolloin Rooman valtakunnan kahtiajako muodostui lopulliseksi. Nykyisin useimmat tutkijat käyttävät nimitystä Bysantti vasta keisari Justinianus I:n ajasta 500-luvun alkupuolelta lähtien.[4][3] Lopullisesti Bysantin voidaan katsoa muuttuneen poliittisena organisaationa antiikin Rooman valtakunnasta erilliseksi 600-luvulla tapahtuneiden muutosten seurauksena.[5] Latina säilyi valtakunnan hallintokielenä aina 600-luvulle asti, jolloin sen syrjäytti enemmistön puhuma kreikan kieli.
Alkujaan Bysantin valtakuntaan kuuluivat kaikki Välimeren itäosan rannikot. 600-luvulla se menetti suuren osan alueistaan arabeille, minkä jälkeen se käsitti vain Anatolian ja osan Balkania. Valtakunta koki nousu- ja laskukausia, mutta pysyi Välimeren alueen suurvaltana 1100-luvulle asti. Valtakunta jaettiin väliaikaisesti neljännen ristiretken jälkeen ja se tuhoutui lopullisesti turkkilaisten valloittaessa Konstantinopolin vuonna 1453.[6] Bysantin kulttuuriperintö elää kuitenkin edelleen esimerkiksi ortodoksisessa kirkossa ja sen luostareissa.[7]
Bysanttia tutkii klassillisesta filologiasta 1800-luvun lopulla eriytynyt oppiaine nimeltä bysantinistiikka.[2]
Historia
Itä-Rooman synty
Erillinen Itä-Rooman hallintoalue syntyi, kun keisari Diocletianus jakoi Rooman valtakunnan kahtia vuonna 293. Syynä jakoon oli se, että laaja valtakunta oli käynyt vaikeaksi hallita. Diocletianus loi tetrarkia-järjestelmän, jossa oli kaksi keisaria (augustus), toinen lännessä ja toinen idässä, ja kummallakin nuorempi hallitsijakumppani eli "alikeisari" (caesar).[8]
Tämä vallanjako jatkui aina siihen asti, kun keisari Konstantinus Suuresta tuli koko valtakunnan hallitsija vuonna 324. Konstantinus valitsi uudeksi pääkaupungikseen Byzantionin kaupungin, Megaran entisen siirtokunnan, ja kaupungin uudeksi nimeksi tuli Konstantinopoli (Konstantinoupolis, "Konstantinoksen kaupunki"). Kaupungin sijainti nähtiin strategisesti keskeisenä, koska siitä oli mahdollista pitää yhteyksiä sekä länteen että itään. Pääkaupungin siirron myötä Roomassa toimineet hallintoinstituutiot, kuten senaatti, siirrettiin sellaisinaan Konstantinopoliin. Samalla kaupungissa käynnistettiin lukuisia rakennusohjelmia ja se varustettiin vahvemmilla muureilla.[8][9]
Konstantinuksen muita uudistuksia olivat muun muassa rahajärjestelmän uudistaminen ja soliduksen käyttöönotto, sotilas- ja siviilihallinnon erottaminen toisistaan, sekä maaseutuhallinnon uudistaminen. Armeija uudistettiin niin, että rajamaakuntien joukot erotettiin keisarin reserveistä, joita voitiin tarvittaessa siirtää ongelmallisille raja-alueille. Konstantinus oli ensimmäinen kristitty keisari ja tuki kristinuskoa monin tavoin, mutta perinteinen pakanauskonto sallittiin kristinuskon rinnalla 300-luvun lopulle saakka, käytännössä pitempäänkin.[8][9]
Vuonna 364 valtakunnan kahtiajako syveni, kun se jaettiin länsiosan hallintaansa saaneen Valentianianuksen ja itäosan saaneen Valensin kesken. Valtakunta jakautui lopullisesti kahtia vuonna 395, kun Theodosius I jakoi valtakunnan poikiensa kesken:[10] tuolloin Arcadius hallitsi idässä ja Honorius lännessä. Tästä lähtien puhutaan yleensä Itä- ja Länsi-Roomasta.
Alkuvuodet (n. 400-luku)
Länsi-Rooma mureni 400-luvulla germaanien valloitusten myötä. Germaanien asettuminen länteen heikensi lännen keisarin asemaa, ja keisarius lakkasi vuonna 476, kun vallan kaapannut goottipäällikkö Odovakar ei ottanut keisarin arvoa vaan palautti muodollisuudeksi käyneen arvonimen Konstantinopoliin. Rooman valtakunnan perinnettä jatkanut valtakunnan itäinen osa säästyi suurilta osin germaanien invaasiolta ja asuttamiselta muun muassa vahvemman taloutensa ja puolustuksensa ansiosta. Theodosiuksen käynnistämä Konstantinopolin muurien uudelleenrakentaminen valmistui vuonna 413. Muurit tulivat kestämään tuhat vuotta aina osmaanivalloitukseen saakka.[8]
Bysantin alkuvuosina kristillinen kirkko vahvistui. Toisaalta aikaa leimasivat kiistat opin oikeasta tulkinnasta. Kaksi keskeisintä erityisesti Bysantin kirkkoa koskenutta kiistaa olivat areiolaisuutta koskenut kiista 300-luvun alussa sekä nestoriolaisuutta koskenut kiista 400-luvun alussa. Areiolaisuus tuomittiin Nikean kirkolliskokouksessavuonna 325, nestoriolaisuus Efesoksen kirkolliskokouksessa vuonna 431. Nestoriolaisuuden vastareaktiona syntyi puolestaan monofysiittinen liike, joka tuomittiin Khalkedonin kirkolliskokouksessa vuonna 451. Myös keisari joutui usein ottamaan kantaa harhaoppikiistoihin, mikä lähensi kirkon ja keisarin suhdetta.[8]
Leo I (keisarina 457–474) oli ensimmäinen keisari, joka ei saanut kruunua roomalaisen perinteen mukaan sotapäälliköltä, vaan Konstantinopolin patriarkalta.[11] Isauriasta kotoisin ollut Zenon meni naimisiin Leon tyttären Ariadnen kanssa, ja he saivat pojan, joka nousi keisariksi nimellä Leo II vuonna 474.
Leo II:n kuoltua Zenonista tuli keisari. Valloittaakseen Italian takaisin hän liittoutui ostrogoottien Teoderikin kanssa, joka sittemmin hallitsi Italian käskynhaltijana. Bysantin vallanperimykseen kuului, että jos keisari kuoli jälkeläisiä jättämättä, oli augustaksi nimitetyllä keisarinnalla valta valita hänelle seuraaja. Augustoja sai olla useitakin ja augusta sai olla muukin keisarin sukulainen kuin puoliso. Niinpä Zenonin kuoltua hänen puolisonsa Ariadne nimitti vuonna 491 keisariksi varakkaan hovimiehen Anastasios I:n (keisarina vuoteen 518).[8][12]
Anastasios loi maan taloudelle suotuisan perustan. Hän edisti idänkauppaa ja teollisuutta. Silkkiä kuljetettiin maitse Persian kautta tai Intiasta meritse Bysantin alueelle, jossa käsityöläiset valmistivat silkkikangasta.[12]
Justinianus I:n valtakausi (500-luvun alku)
Keisari Justinianus I:n aikana (527–565) Itä-Rooman poliittinen ja sotilaallinen asema vakiintui. Usein keskiaikaisen Bysantin ajan lasketaan alkavan juuri hänen ajastaan.[8] Konstantinopolin keisarit eivät olleet koskaan suostuneet pitämään Länsi-Rooman alueita menetettyinä vaan ainoastaan tilapäisesti keisarin suoran vallan ulkopuolisina alueina. Ne pyrittiin liittämään takaisin valtakuntaan, ja tässä myös onnistuttiin ajoittain ja osittain. Justinianuksen aikana valtakunta taisteli Persiaa, gootteja ja vandaaleja vastaan, sekä valtasi takaisin suuria osia Italian niemimaasta, Pohjois-Afrikan rannikosta ja Espanjasta.[13] Näiden voittojen takana oli suurelta osin sotapäällikkö Belisarius.[10] Lisäksi hän allekirjoitti vuonna 532 rauhansopimuksen Persian hallitsijan Khosrau I:n kanssa.
Vuoden 532 Nika-kapina Konstantinopolissa johti arviolta 30000 kapinnallisen teloitukseen. Historioitsija Prokopioksen teos Salainen historia kertoo keisarin politiikan kohtaamasta vastarinnasta. Belisarius onnistui valtaamaan Pohjois-Afrikan takaisin vandaaleilta vuonna 533, ja vuoteen 548 mennessä paikalliset heimot olivat alistetut. Italiassa sodittiin itägootteja vastaan. Retkikunta nousi maihin Sisiliassa, mutta ei onnistunut murtamaan vastarintaa ennen vuotta 540, jolloin itägoottien pääkaupunki Ravenna vallattiin.[13] Sodat Persiaa vastaan jatkuivat vuoteen 561, jolloin rauhansopimusta jatkettiin. Sodat jatkuivat vuosina 565–591.[10]
Niin sanottu Justinianuksen rutto iski Bysanttiin vuonna 542. Monet tiedemiehet uskovat taudin lähteneen liikkeelle Kiinasta[14]. Se levisi Aasian poikki Egyptiin, josta se kulkeutui viljalaivoilla Konstantinopoliin. Aikalaisen Prokopioksen mukaan tauti olisi tappanut 10000 ihmistä päivittäin,[15], mutta nykyisin pidetään todennäköisempänä uhrilukuna 5000 henkeä päivässä. Kaupungin väestöstä puolen arvioidaan kuolleen tautiin. Keisari Justinianuksen kerrotaan itsekin sairastuneen ruttoon, mutta parantuneen siitä.
Lakien uudistaminen
Justinianuksen aikana Rooman lait koottiin ja kirjoitettiin uudestaan Johannes Kappadokialaisen johdolla Corpus iuris civilis -lakikokoelmaksi. Se koostui kolmesta eri osasta, Digesta (eli Pandektai), Institutiones Iustiniani ja Codex Iustinianus (repetitae praelectionis), ja siihen lisättiin neljäs osa Novellae (constitutiones), joka sisälsi myöhemmin säädettyjä lakeja. Lakikokoelmat muodostivat koko Bysantin myöhemmän lainsäädännön perustan.[16]
Uskontopolitiikka
Justinianus riitaantui juutalaisten, pakanoiden ja erilaisten kristillisten lahkojen kuten manikealaisten, monofysiittien ja nestorialaisten kanssa. Osaksi käytännön syistä ja osaksi pyrkimyksestä hävittää pakanallinen uskonnollisuus Justinianus sulki Ateenan maineikkaan filosofikoulun vuonna 529. Kristillinen kulttuuri alkoi saada jalansijaa, mutta perinteisellä kreikkalais-roomalaisella kulttuurilla oli kannattajansa, kuten luonnonfilosofi Johannes Filoponos. Keisarin suuren rakennusohjelman helmi oli Konstantinopolin uusi katedraali Hagia Sofia (Pyhä viisaus).
Justinianuksen seuraajat (500-luvun loppu)
Justinianuksen seuraajat eivät kyenneet torjumaan uusia ulkoisia uhkia. Italian niemimaa menetettiin langobardeille 500-luvun lopulla, slaavit valtasivat Balkanin, ja Persia puolestaan Syyrian, Palestiinan ja Egyptin. Lisäksi valtakunnan ylläpitämisen vaatimat korkeat verot aiheuttivat sisäistä tyytymättömyyttä.[13]
Herakleioksen dynastia (610–711)
Fokas (keisarina 602–610), jota pidettiin tyrannina, murhautti keisari Maurikioksen. Persian Khosrau II käytti tätä syynä Anatolian valtaamiseen. Karthagon eksarkki, Herakleios vanhempi, lähetti poikansa Herakleioksen, joka sittemmin kruunattiin keisariksi, valtaamaan Konstantinopolia takaisin. Persialaiset valtasivat kolme vuotta tämän jälkeen Damaskoksen ja Jerusalemin. Herakleioksen vastahyökkäys tuhosi persialaisten pääjoukon Niniven taistelussa. Herakleios oli keisarina vuosina 610–641.
Sota Persiaa vastaan jatkui vuonna 603; tämä niin kutsuttu Bysantin–sassanidien sota kulutti sekä Bysantin että Persian voimia. Persialaiset valtasivat Syyrian, Palestiinan ja Egyptin. Sota kesti vuoteen 628, jolloin Herakleios voitti persialaiset. Näin Bysantti onnistui valloittamaan alueet joksikin ajaksi takaisin. Sodan heikentämänä se ei kuitenkaan pystynyt vastustamaan islaminuskon omaksuneita arabeja, jotka noin kaksikymmentä vuotta persialaisten jälkeen valloittivat kalifi Omarin johdolla kaikki nämä alueet ja myöhemmin koko Pohjois-Afrikan. Vuonna 636 Bysantti kärsi ratkaisevan tappion muslimeille Jarmukin taistelussa. Erityisen suuri merkitys oli Egyptin menettämisellä, koska se oli ollut valtakunnan vilja-aitta ja merkittävä verotulojen lähde.[10][13]
Herakleioksen aikana kreikasta tuli Bysantin virallinen kieli, mikä näkyi siinä, että keisarista alettiin latinankielisen augustuksen sijasta käyttää arvonimeä basileus, ja valtakunnasta tuli kulttuuriltaan ja uskonnoltaan yhtenäisempi. Muslimien valtaamissa eteläisissä provinsseissa vallitsi monofysitismi, joka oli ristiriidassa Khalkedonin kirkolliskokouksessa määritellyn ortodoksisen kristinuskon kanssa. Sovitellakseen khalkedonialaisten ja monofysiittien välistä riitaa Herakleitos ehdotti ratkaisuksi monoteletismiä. Vuoteen 642 mennessä muslimit olivat valloittaneet monofysiittisen uskon keskusalueet.[13]
Arabit, jotka nyt hallitsivat Syyriaa ja Palestiinaa, lähettivät ryöstöretkiä Anatoliaan ja vuosina 674–678 piirittivät Konstantinopolia.[10] Toistuvat ryöstöretket Anatoliaan pakottivat Bysantin organisoimaan läänitysjärjestelmän (thema-järjestelmä), jossa maata jaettiin vastineeksi sotilaspalveluksesta. Joukkojensiirrot Balkanilta mahdollistivat slaavien etenemisen etelämmäksi, mistä syystä monet kyläyhteisöt kutistuivat ja linnoittautuivat. Kasaarien ilmaantuminen 670-luvulla ajoi bolgaarit Tonavan eteläpuolelle. Vuonna 681 keisari Konstantinos IV allekirjoitti rauhansopimuksen bolgaarien kaani Aspharukhin kanssa. Tätä ennen paikalliset slaaviheimot olivat ainakin nimellisesti tunnustaneet bysanttilaishallinnon.
Konstans II (keisarina 641–668) jatkoi isoisänsä Herakleioksen aloittamaa monoteletismiä suosivaa politiikkaa, mikä herätti voimakasta vastustusta. Jyrkimmät vastustajat munkki Maksimos Homologetes ja paavi Martinus I vangittiin ja karkotettiin. Konstans joutui luultavasti epäsuosioon pääkaupungissa ja muutti Syrakusaan, missä hänet murhattiin. Justinianus II (keisarina 685–695 ja 705–711) hallitsi tyrannimaisin ottein ja määräsi ankaria veroja. Hän joutui luopumaan kruunusta vuonna 695 ja lähti maanpakoon ensin kasaarien, sitten bolgaarien luokse.
Vuonna 698 arabit valtasivat Karthagon. Näin Bysantti oli lopullisesti menettänyt kaikki Pohjois-Afrikan alueet.[10] Justinianus II palasi Konstantinopoliin kaani Tervelin avulla vuonna 705 ja kaappasi vallan takaisin itselleen. Toisella kaudellaan hän kosti verisesti vihollisilleen, ja vuonna 711 hänet kukistettiin kasaarien tuella. Hänen seuraajakseen nousi Filippikos (keisarina 711–713). Arabit piirittivät Konstantinopolia toistamiseen vuosina 717–718.[10]
600-luvun poliittiset ja alueelliset muutokset saivat aikaan sen, että valtakunta oli poliittisena organisaationa enää muisto entisestään. Siksi Bysantin voidaan katsoa muuttuneen lopullisesti vanhasta Rooman valtakunnasta erilliseksi 600-luvun kuluessa.[5]
Ikonoklasmin kausi (717–843)
Leon III (keisarina 717–741) kaappasi vallan vuonna 717. Hän taisteli menestyksekkäästi arabeja vastaan ja voitti nämä vuonna 740. Leonin valtakauden myötä käynnistyi ikonoklasmi eli kuvainraasto, kun tämä kielsi ikonit ja niille osoitetun kunnioituksen. Myös Konstantinos V (keisarina 741–775) omaksui ikonoklastisen kannan kautensa loppupuolella. Eräänä syynä ikoneja vastustavan kannan syntyyn oli islamin nousu ja arabien menestyksekkäät valloitukset: bysanttilaiset saattoivat ajatella kuvia vastustaneiden muslimien tekevän siis jotakin oikein. Luonnonmullistukset, kuten Santorinin tulivuorenpurkaus vuonna 726, lisäsivät ajatusta, että Bysanttia rangaistaan jonkin asian tähden. Ikonikielto johti kapinointiin sekä monien Bysantin taiteen tuotteiden tuhoamiseen. Ikonoklasmi vaikutti kuitenkin lähinnä hoviin, ylimpiin virkamiehiin ja ylimpään papistoon, ei niinkään tavalliseen kansaan.[13][17]
Vuonna 798 valtaistuimelle astui ensimmäistä kertaa nainen, keisarinna Irene (Eirene). Lännessä voitiin katsoa, että Länsi-Rooman valtaistuin oli jäänyt vapaaksi. Vuonna 800 paavi kruunasi frankkien kuninkaan Kaarle Suuren Rooman keisariksi. Lännessä oli näin keisari yli kolmensadan vuoden tauon jälkeen, eikä Bysantti enää ollut ainoa Rooman imperiumin perillinen; Kaarle Suuren kruunausta pidettiinkin Bysantissa avoimena haasteena.[17]
Keisarinna Irenen vaikutuksesta Nikaiassa pidetty seitsemäs ekumeeninen kirkolliskokous päätti vuonna 787, että ikoneja saa kunnioittaa, mutta ei palvoa. Keisari Leo V palautti ikonoklasmin uudelleen voimaan vuonna 813, koska kuvakiellon katsottiin olevan sodissa saavutettujen voittojen taustalla.[17] Theodora II salli ikonit vuonna 843 patriarkka Methodioksen tuella, ja kirkolliskokous vahvisti Nikean ekumeenisen kirkolliskokouksen päätöksen.[10] Ikonoklasmi sekä paavi Nikolaus I:n ja patriarkka Fotioksen välinen kiista syvensivät entisestään idän ja lännen kirkkojen eroa.
Bysantin kulta-aika (n. 850–1050)
Bysantin kulta-aikana voidaan pitää niin kutsutun makedonialaisen dynastian aikaa vuosina 867–1056. Dynastian aikana Bysantista onnistuttiin jälleen rakentamaan suurvalta, ja se valtasi takaisin maita, joita arabit olivat valloittaneet idässä ja slaavit Balkanilla. Myös eteläinen Italia valloitettiin, ja keisari Johannes I Tzimiskes ulotti taistelut aina Jerusalemiin asti. Vuonna 1014 keisari Basileios II (keisarina 976–1025) kukisti Bulgarian. Voittoisien sotien ja vahvojen hallitsijoiden ansiosta Bysantti oli sekä sotilaallisesti että taloudellisesti vahva, ja pääkaupunki Konstantinopoli oli loistelias kulttuurin ja vallan keskipiste. Kauppa ja käsityöläisyys kukoistivat, Konstantinopoliin perustettiin uusia kouluja, kiinnostus antiikin kulttuuriin ja filosofiaan heräsivät uudelleen, ja maallinen kirjallisuus ja muu kulttuuri elpyivät. Samalla bysanttilainen sivistys levisi myös naapurikansojen alueille.[17][18][19]
Bysantin–arabien sodat
Kreeta onnistuttiin valtaamaan arabeilta väliaikaisesti vuonna 843, mutta keisarit eivät onnistuneet estämään muslimeita valtaamasta Sisiliaa ja Sardiniaa vähä vähältä vuoteen 902 mennessä. Toisaalta koettiin myös voittoja, kuten Damiettan taistelu vuonna 856. Muslimit liittoutuivat usein itäisissä provinsseissa asuvien paulikiaanien uskonlahkon kanssa, jota vainottiin harhaoppisena. Basileios I (keisarina 867–886) onnistui lopettamaan lahkon vallan. Rusit yrittivät ryöstää Konstantinopolin vuonna 860. Uuden yrityksen yhteydessä heidät lyötiin takaisin vuonna 941 Johannes Kurkuasin johdolla. Hän saavutti muitakin huomionarvoisia voittoja, kuten Edessan kuvan vaihtamisen muslimivankeihin.
900-luvun jälkimmäisellä puoliskolla keisarikunta laajeni jälleen pohjoiseen Syyriaan, valloitti Kreetan ja Kyproksen takaisin, sekä miehitti Antiokian aluetta. Bysanttilaiset sotajoukot etenivät Jerusalemin porteille saakka.[17]
Sodat bulgaareja vastaan
Bulgarian tsaari Simeon I Suuri voitti bysanttilaiset Bulgaryphonin taistelussa vuonna 896, mikä pakotti Bysantin maksamaan veroa Bulgarialle. Myöhemmin keisari Konstantinos VII meni naimisiin Simeonin tyttären kanssa. Romanos I kärsi tappion Anchialusin taistelussa vuonna 917, minkä jälkeen bulgaarit ulottivat sotaretkensä aina Korinttiin asti. Simeonin kuoltua vuonna 927 Bysantin asema parani Balkanilla. Basileios II saavutti ratkaisevan voiton Bulgariasta vuonna 1014 Kleidionin taistelussa. Valtakunta sai uuden liittolaisen vasta perustetusta varjagivaltiosta, kun Basileioksen sisar naitettiin Kiovan hallitsijalle Vladimir Suurelle.
Samaan aikaan pohjoisesta levisi jälleen uusi harhaoppi, bogomilien dualistinen oppi, joka oli saanut vaikutteita paulikiaaneilta. Oppi sai suosiota erityisesti Bulgariassa, mutta se levisi myös bysanttilaisen yläluokan keskuuteen.[18]
Sodat seldžukeja, normanneja ja petsenegejä vastaan
Vuonna 1054 ortodoksisen ja katolisen kirkon välit katkesivat lopullisesti (suuri skisma). Samalla Bysanttia uhkasivat uudet vaarat: seldžukit Vähässä-Aasiassa, petsenegit pohjoisessa sekä normannit Italiassa. Manzikertin taistelussa vuonna 1071 seldžukkien sulttaani Alp Arslan kukisti perusteellisesti Bysantin armeijan ja otti keisari Romanos IV Diogenesin vangiksi. Tämän seurauksena Bysantti menetti melkein koko Vähän-Aasian ja parhaimmat maanviljelysalueensa. Tämän lisäksi Bysantti menetti Italian alueet normanneille ja Balkanin petsenegeille vuoteen 1081 mennessä.[18]
Manzikertin jälkeinen sekasorto loppui vuonna 1081 Aleksios Komnenoksen (keisarina 1081–1118) kaapattua vallan. Hän organisoi armeijan uudelleen ja sai vallattua takaisin tärkeitä alueita seldžukeilta. Aleksios joutui myös taistelemaan normanneja vastaan. Eräs vaarallisimmista normanneista oli Robert Guiscard. Bysantti menetti eteläisen Italian normanneille vuoteen 1100 mennessä. Aleksios pyrki myös tukahduttamaan bogomilien liikkeen.[18]
Ristiretkien aika (1097–1261)
Aleksioksen länteen lähettämän avunpyynnön seurauksena käynnistyi vuonna 1097 ensimmäinen ristiretki, jonka ansiosta Nikaia vallattiin takaisin. Bysanttilaisten ja ristiretkeilijöiden välit eivät koskaan olleet lämpimät, ja kummatkin osapuolet epäilivät toisiaan. Aleksioksen työtä jatkoivat hänen poikansa Johannes ja pojanpoikansa Manuel. Menetetyt Balkanin ja Vähä-Aasian alueet saatiin takaisin. Komnenosten dynastia loppui Andronikos Komnenoksen hirmuvaltaan vuonna 1185. Komnenoksia seurasi heikompi Angelosten dynastia.
Pyrkiessään saamaan tukea lännestä, Bysantti luovutti läntisille kauppiaille merkittäviä kauppaoikeuksia. Seurauksena erityisesti Venetsia sai hallitsevan aseman merellä ja alueen kaupassa, mikä heikensi Bysantin omia asemia. Venetsia sai vähitellen myös huomattavaa poliittista vaikutusvaltaa. Ristiretkeläiset puolestaan sekaantuivat aiemmin Bysantin vaikutuspiiriin kuuluneen alueen asioihin Jerusalemin ympäristöön perustamistaan kuningaskunnista käsin.[18]
1170-luvulla Bysantin ja Venetsian suhteet kiristyivät. 1182 Konstantinopolissa tehtiin länsieurooppalaisten, erityisesti italialaisten, kauppiaiden joukkomurha Andronikos Komnenoksen vallankaappauksen yhteydessä. Tavoitteena oli heikentää läntisten kauppiaiden vaikutusvaltaa. 1192 Bysantti kuitenkin solmi kauppasopimukset Pisan ja Genovan kanssa. Tapahtumien seurauksena Bysantin vastainen liittouma lännessä vahvistui.[18][10]
Neljäs ristiretki ja Bysantin jako
Venetsia sai kostonsa neljännen ristiretken kautta. Ristiretken oli aluksi pitänyt suuntautua Egyptiin, mutta se päätyi lopulta Venetsian johtamana valtaamaan Konstantinopolin, jotta Venetsian asema alueen kaupankäynnissä vahvistuisi. Ristiretkeläiset valtasivat Konstantinopolin 12. huhtikuuta 1204 ja ryöstivät kaupungin saaden valtavan sotasaaliin, sillä kaupunkiin oli kerätty vaurautta tuhannen vuoden ajan ilman, että sitä oli vallattu tuona aikana kertaakaan.[18]
Bysantin kukistuttua ristiretkeläiset perustivat Bysantin ydinalueelle, Konstantinopolin ympäristöön ja nykyisen Kreikan alueelle, Latinalaisen keisarikunnan, jonka keisariksi tuli Balduin I Flanderilainen. Keisarikunnan alaisuudessa oli useita vasallivaltioita: Akhaian ruhtinaskunta Peloponnesoksella, Naksoksen herttuakunta Egeanmeren saaristossa, Thessalonikan kuningaskunta Pohjois-Kreikassa sekä Ateenan herttuakunta keskisessä Kreikassa.[18]
Bysantin perintöä jatkoivat Latinalaisen keisarikunnan ympärillä sijainneet valtiot: Nikaian keisarikunta, jota hallitsi Laskaris-suku; Trebizondin keisarikunta, jota hallitsivat Komnenokset; sekä Epeiroksen despotaatti, jota hallitsivat Angelokset. Kaikki nämä kolme valtiota pyrkivät valtaamaan Konstantinopolin takaisin ja hakivat tähän tukea lännestä Venetsian vastustajilta, ennen kaikkea Genovalta. Theodoros Laskariksen johdolla Nikaia sai vähitellen valtansa alle muut valtiot. Vuonna 1261 Nikaia valtasi takaisin Konstantinopolin Mikael Palaiologoksen (keisarina Mikael VIII) johdolla.[18] Mikaelin perustamasta Palaiologosten hallitsijasuvusta tuli valtakunnan viimeinen.
Bysantin loppuajat (1261–1461)
Uudelleensyntynyt Bysantti valtasi Mikaelin aikana Peloponnesoksen ja nousi joksikin aikaa poliittisesti merkittäväksi toimijaksi. Neuvottelut idän ja lännen kirkkojen yhdistymisestä aloitettiin 1200-luvun jälkimmäisellä puoliskolla, ja asiaa käsiteltiin Lyonin kirkolliskokouksessa vuonna 1274. Tuolloin keisari Mikael VIII olisi ollut valmis hyväksymään yhdistymisen saadakseen lännestä sotilaallista apua. Yhdistyminen ei kuitenkaan toteutunut yleisen vastustuksen vuoksi.[20] Samaan aikaan Kaarle Anjoulainen suunnitteli valtaavansa Bysantin paavin tuella.[10]
Osmanivaltakunnan nousu
Myös osmanivaltakunnan uhka alkoi nousta vähitellen, ja keisarikunnan viimeiset kaksi vuosisataa olivatkin enimmäkseen vetäytymistä osmanivaltakunnan alta. Turkkilaiset osmanit valtasivat vähitellen alueita Vähä-Aasiassa 1280-luvulta lähtien. Brusa joutui vallatuksi 1326, Efesos 1328, Nikea 1329, ja Nikomedeia ja Bithynia 1337.[18][10]
Viimeisinä vuosinaan Bysantti jatkoi neuvotteluja lännen kanssa idän ja lännen kirkkojen yhdistymiseksi sotilaallisen avun saamiseksi.[20] Yhdistymistä kannattivat jo monet ylimystön jäsenet ja osa papistostakin, mutta luostarit ja väestön enemmistö vastustivat sitä edelleen. Ulkoisen uhan ohella keisarikunta kärsi myös hallitsijasuvun sisäisistä riidoista sekä sosiaalisista ja uskonnollisista erimielisyyksistä. Johannes VI Kantakuzenos nousi vallantavoittelijaksi ja keisariksi (keisarina 1347–1354). Luostariyhteisöissä kehittyi mystiseen mietiskelyyn perustunut hesykastinen liike, joka kytkeytyi myös politiikkaan vastustamalla läntistä vaikutusta ja kirkkojen yhdistymistä. Politiikassa hesykasmi ilmeni Gregorios Palamaksen kannattamana niin kutsuttuna palamismina. Liike sai suosiota, ja myös Kantakuzenos omaksui liikkeen näkemykset. Hesykasmista tuli Bysantin kirkon virallinen kanta vuonna 1351.[18][7]
Traakian osmanit valtasivat 1360-luvulla, Thessalonikin vuonna 1387. Vuonna 1365 vallatusta Adrianoupoliksesta osmanit tekivät pääkaupunkinsa vuoteen 1453 saakka. Vähä-Aasia oli menetetty osmaneille käytännössä kokonaan, kun osmanit valtasivat Filadelfian puoliautonomisen alueen vuonna 1390. Samaan aikaan osmanivalloitusten kanssa serbit käyttivät tilaisuuden hyväkseen ja valtasivat Albanian, Itä-Makedonian ja Thessalian. Osmanit kuitenkin löivät serbit Kosovo Poljen taistelussa 1389 ja valtasivat myös unkarilaisista ja bulgaareista saatujen voittojen myötä vähitellen koko Balkanin.[18][10]
Bysantin kukistuminen
1400-luvulle tultaessa Bysantin alue oli kutistunut kattamaan lähes pelkästään Konstantinopolin kaupungin, Thessalonikin, Peloponnesoksen alueen (Morean despotaatti) sekä joitakin Egeanmeren saaria (mm. Lesbos ja Limnos). Konstantinopolista erilliset alueetkin olivat käytännössä itsenäisiä ja ainoastaan nimellisesti ja perinteensä kautta osa valtakuntaa.[18][21] Thessalonikin kaupunki luovutti itsensä venetsialaisten haltuun vuonna 1423. Osmanit valtasivat kaupungin vuonna 1430 ja surmasivat koko väestön ja kaupungissa olleet venetsialaiset sotilaat.[10]
Osmaanien sulttaani Bayezid I piiritti Konstantinopolia vuosina 1397–1402. Keisari Manuel II kiersi Eurooppaa hakien apua Bysantille. Valtakunta pelastui mongolien hyökättyä samaan aikaan osmanien alueille. Osmanien valta elpyi pian. Sulttaani Murad II piiritti vuorostaan Konstantinopolia vuonna 1422. Osmanit valtasivat Thessalonikin vuonna 1430.[10] Nyt keisari Johannes VIII Palaiologos haki apua lännestä ja hyväksyi tämän vuoksi kirkkojen yhdistymisen Firenzen kirkolliskokouksessa vuonna 1439. Osmaneja vastaan saatiin organisoitua unkarilaisten ja latinalaisten ristiretki, niin kutsuttu Varnan ristiretki, mutta se päättyi kristittyjen kannalta katastrofiin Varnan taistelussa vuonna 1444.[18] Kirkkojen yhdistyminen julistettiin lopulta voimaan Konstantinopolissa vuonna 1452.[10] Se ei kuitenkaan juurikaan toteutunut käytännössä yleisen vastustuksen vuoksi.
Bysantin valtakunnan loppu koitti vuonna 1453. 2. huhtikuuta osmanien sulttaani Mehmed II aloitti Konstantinopolin piirityksen, jota kesti melkein kaksi kuukautta. Keisari lähetti avunpyyntöjä länteen, mutta apua ei tullut. Bysantin valtakunta kukistui lopullisesti 29. toukokuuta, kun osmanit valtasivat kaupungin rynnäköllä. Viimeinen keisari Konstantinos XI Palaiologos kaatui taistelussa turkkilaisia vastaan. Bysantin viimeinen eurooppalainen osa Morean despotaatti kukistui vuonna 1460 Mistran valtauksen myötä. Osmanit valtasivat valtakunnan viimeisetkin rippeet, kun Trebizondin keisarikunta kukistui vuonna 1461.[18]
Bysantin rappion syyt
Keisarikunnan rappeutumisen syynä sen viimeisinä vuosisatoina eivät olleet pelkästään aseelliset selkkaukset, vaikkakin Konstantinopolin valtaus vuonna 1204 neljännen ristiretken aikana vauhditti rappiota. Valtiota jäytivät monet vakavat epäkohdat: omistuksen keskittyminen harvojen käsiin ja näiden suuromistajien toiminta valtion edun vastaisesti, rikkaiden ja köyhien välinen jännite, asevoiman pieneneminen ja sen keskittyminen ulkomaisten palkkasotilaiden käsiin, omasta laivastosta luopuminen ja nojautuminen Genovan laivastoon, sekä rahan arvon toistuva alentaminen ja siitä seurannut rahoittajien epäluottamus.[22]
Valistusajan historiankirjoituksessa Bysantti nähtiin usein idealisoidun antiikin Rooman rappeutuneena jälkinäytöksenä. Sama asenne on jatkunut pitkään ennen nykyaikaista tutkimusta. Poliittisen ja kulttuurisen rappion syinä on nähty muun muassa despoottinen itsevaltius, byrokraattinen hallintokoneisto, jatkuvat juonittelut ja korruptio, itämaistuminen, yhteiskunnallinen pysähtyneisyys ja kaavoihin kangistuminen sekä mystisuskonnollinen mentaliteetti ja uskonnollinen fanatismi.[3][5][23][24] Bysantintutkija John Haldon muistuttaa kuitenkin, että bysanttilainen yhteiskunta ja kulttuuri olivat itse asiassa hyvin dynaamisia, tehokas hallintokoneisto oli mahdollisesti eräs syy valtakunnan pitkään ikään, ja ettei Bysantti esimerkiksi ollut sen korruptoituneempi kuin muutkaan ajan yhteiskunnat.[3][24]
Bysantin perintö
Bysantin kulttuuriperintö elää edelleen ortodoksisessa kirkossa ja sen luostareissa. Lännessä Bysantin kautta välittynyt antiikin kulttuuri vaikutti merkittävästi renessanssin syntyyn ja kehitykseen, kun antiikin kirjallisuuden käsikirjoituksia siirtyi bysanttilaisten pakolaisten mukana länteen jo ennen Konstantinopolin kukistumista.[7][24]
Osmaanien valtakunta otti Konstantinopolin pääkaupungikseen ja peri kulttuuriinsa ja muun muassa rakennustaiteeseensa monia bysanttilaisen kulttuurin puolia. Venäjä puolestaan peri itselleen ortodoksisen kirkon suojelijan roolin, keisarin arvonimen sekä Palailogos-suvun tunnuksen, kaksipäisen kotkan, viimeisen keisarin veljentyttären Sofian avioiduttua Iivana III:n kanssa. Iivana IV:stä tuli ensimmäinen Venäjän keisari eli tsaari. Venäjä onkin 1500-luvulta lähtien usein pitänyt itseään Bysantin perillisenä ja kolmantena Roomana.[25][23][26]
Maantiede, talous, kansat ja kielet
Syntyessään Bysantti muodostui kolmesta erillisestä ja hyvin erilaisesta maantieteellisestä alueesta: Vähä-Aasiasta eli Anatoliasta, Balkanista sekä Levantista (Lähi-itä ja Egypti). Meri sekä erotti että yhdisti nämä alueet toisiinsa. Maa-aluetta luonnehtivat rannikkotasangot, ylängöt sekä vuoristot. Bysantin samoin kuin Rooman valtakunnan pääelinkeino oli maanviljely. Maanviljely oli keskittynyt rannikkoalueille, kun taas ylätasangoilla harjoitettiin enemmän karjataloutta. Egyptin merkitys sekä viljan- että verotulojen tuottajana oli erittäin suuri. Muita vauraita maakuntia olivat Syyria, Mesopotamia, Eufratensis, Osroene, Foinikia, Palestiina ja Kilikia. Näiden alueiden menetyksen seurauksena valtion tulojen arvioidaan pudonneen neljännekseen.[27]
Hallinnollisesti valtakunnan alue oli jaettu antiikin Rooman valtakunnan peruja provinsseihin. 600-luvulla jako korvattiin uudella jaolle niin kutsuttuihin teemoihin (thema). Kutakin teemaa komensi strategos, joka valvoi myös alueensa siviili- ja taloushallintoa.[28] Valtakunnan rajojen muuttuessa myös teemajakoa muutettiin.
Bysantiin eräitä keskeisimpiä kaupunkeja olivat (valtakunnan ollessa laajimmillaan keisari Justinianus I:n aikana) pääkaupunki Konstantinopolin lisäksi Rooma, Ravenna, Napoli ja Syrakusa Italiassa; Aleksandria ja Karthago Afrikassa; Thessaloniki ja Ateena Balkanilla; Antiokia, Nikea, Efesos, Ankara, Seleukia, Caesarea, Melitene, Seleukia ja Trebizond Vähässä-Aasiassa; Herson Krimillä; sekä Jerusalem, Emesa ja Damaskos Levantissa. Näistä Konstantinopoli, Thessaloniki, Ravenna ja Karthago olivat prefektuurien pääkaupunkeja ja Konstantinopoli, Rooma, Aleksandria, Antiokia ja Jerusalem patriarkaattien kotipaikkoja.[27]
Keskiajalla kreikkalais-roomalainen kaupunkikulttuuri taantui. Vanhoista polis-keskuksista siirryttiin helpommin puolustettaville kukkuloille linnoitusten (kastron) ympärille. Pääkaupunki Konstantinopoli muodostui ainoaksi merkittäväksi kaupunkikeskukseksi.[4] Kaikki kaupungit olivat riippuvaisia lähiympäristönsä maaseudusta. Tuotteiden kuljetus maitse oli kallista ja hankalaa, ja siksi vesikuljetukset olivat keskeisempiä. Vain sataman omaavat kaupungit onnistuivat kehittymään merkittäviksi kaupan keskuksiksi. Bysantti peri antiikin Rooman tieverkoston, mutta teiden ylläpito heikkeni vähitellen huomattavasti.[27] Maantiekuljetuksia hoiti cursus publicus, valtiollinen kuljetus- ja hevostenvaihtojärjestelmä.[29]
Bysantti oli monikansallinen valtakunta osin maantieteellisen laajuutensakin ansiosta. Kreikkalaisten lisäksi valtakuntaan kuului varsinkin sen varhaisina vuosisatoina muun muassa latinankielistä väestöä, syyrialaisia, egyptiläisiä, armenialaisia, slaaveja, albaaneja, bulgaareja ja juutalaisia. Väestöä yhdisti kreikan kieli ja varhaisina vuosisatoina myös latina, jota puhuttiin paitsi Italiassa ja Balkanilla myös erityisesti rannikkoalueilla. Latina toimi virallisena kielenä vuoteen 620 saakka ja sitä käytettiin erityisesti lainsäädännön kielenä. Tämän jälkeen kreikan kielen merkitys roomalaisuuden ylläpitäjänä kasvoi ja väestö kreikkalaistui yhä enemmän. Kreikkalaisuus korostui ennen kaikkea valtakunnan menetettyä suuren osan alueistaan vuosisatojen kuluessa.[1][30]
Hallinto
Keisari
Bysantin keisarius jatkoi Rooman valtakunnan keisariutta ilman historiallisia katkoksia.[5] Keisari oli itsevaltias hallitsija, jonka nähtiin saavan valtansa suoraan Jumalalta ja joka oli Jumalan nimittämä. Tästä huolimatta nähtiin myös, että keisari oli mahdollista syöstä vallasta, mikäli se oli Jumalan tahto. Vallasta kiisteltiin usein, minkä seurauksena tapahtui myös vallankaappauksia.[3]
Bysantin merkittävimmät hallitsijasuvut olivat:
Leon hallitsijasuku (457–518)
Herakleioksen hallitsijasuku (610–711)
Isaurialainen hallitsijasuku (717–802)
Amorialainen eli fryygialainen hallitsijasuku (820–867)
Makedonialainen hallitsijasuku (867–1056)
Komnenosten hallitsijasuku (1057–1185)
Angelosten hallitsijasuku (1185–1204)
Laskaristen hallitsijasuku (1204–1261)
Palaiologosten hallitsijasuku (1261–1453)
Senaatti ja virkamiehet
Konstantinopolissa toiminut senaatti jatkoi Rooman senaatin perintöä. Konstantinopolin senaattiin kuului alun perin 300 senaattoria, mutta myöhemmin lukumäärä kasvoi tuhansiin. Senaattoreilla oli perinnöllinen arvonimi clarissimus. Muita senaattoriarvoja olivat illustris ja spectabilis. Senaattorien asema perustui ennen kaikkea maanomistukseen. Senaattoriylimystö oli merkittävässä osassa vanhan kreikkalais-roomalaisen kulttuuriperinnön vaalimisessa.[31]
Bysantin hallintojärjestelmä oli monimutkainen ja siihen kuului useita erilaisia virkoja ja arvonimiä, jotka muodostivat tiukan virkahierarkian. Senaattoreilla oli alun perin yksinoikeus korkeimpiin virkoihin sekä pääkaupungissa että maakunnissa. Ajan kuluessa vanhaan senaattorisäätyyn kuulumisen merkitys väheni, sillä keisarin hovissa virat määräytyivät sukutaustan ohella myös meritokraattisesti. Toimiminen keisarin hovissa muodostui vähitellen merkittävimmäksi tieksi yhteiskunnalliseen ylenemiseen. Samalla Konstantinopolissa toimineen keskushallinnon ja maata omistavan yläluokan intressiristiriita muun muassa verotuksen toimeenpanossa maakunnissa kasvoi, mikä johti myös sisällissotiin.[31]
Armeija
Bysantin valtakunnan armeija kehittyi sitä edeltäneestä Rooman valtakunnan armeijasta. Armeija muuttui keisari Diocletianuksen aikana perinteisistä raskaista legioonista käsittämään enemmän ratsuväkeä. Bysantin armeija oli kuuluisa raskaasta katafraktiratsuväestään. Itä-Rooman armeija järjestettiin myöhemmin uudelleen keisari Herakleioksen aikana uuden teema-järjestelmän mukaan.
Sotaväki koostui sekä vapaaehtoisista että verotukseen kytkettyjen sotaväenottojen kautta saaduista miehistä.[28] Ulkomaalaiset palkkasotilaat yleistyivät ajan myötä. Korkeimmin palkattuja sotilaita olivat Keski-Aasian turkkilais-tataarilaisten kansojen miehistä pestattu jousilla varustettu ratsuväki. Tämän ensi-iskujoukon osa taktiikassa oli ensimmäisenä rynnistää vihollista kohden, ampua ja vetäytyä. Ratsain tapahtuvan jousiammunnan taito on erittäin vaikea saavuttaa, mutta turkkilaiset paimentolaisheimot hallitsivat sen. Bysantin tunnetuin ja salaisin ase oli sen ajan maailmassa pelotevaikutukseltaan hyvin merkittävä kreikkalainen tuli. Bysantin armeija koki 1070-luvulla murskatappion Manzikertin taistelussa, josta se ei koskaan toipunut.
Verotus
Byrokraattisen hallintokoneiston eräs keskeinen tehtävä oli verotuksen kerääminen keskusvallalle.[19] Bysantin verotus perustui sekä maaveroon ja tämän vaatimaan maaomaisuuden tarkkaan valvontaan, että henkiveroon. Alussa maa- ja henkivero oli yhdistetty niin, että verotuksessa otettiin huomioon se, kuinka montaa työkykyistä henkilöä tietty maa-ala elätti (capitatio-jugatio-periaate). Myöhemmin maavero (kanon) ja henkivero (kapnikon, "kotiliesi") erotettiin toisistaan. Näiden verojen lisäksi valtio vaati erilaisia lisäveroja muun muassa yleisinä töinä ja kestityksenä. Ajan myötä järjestelmä kehittyi monimutkaiseksi ja myös korruptoituneeksi.[32]
1100-luvulta alkaen verotusoikeuksia (pronoia-oikeus) alettiin jakaa myös yksityisille ihmisille tiettyjä alueita koskien. Aluksi oikeuksia myönnettiin vain hallitsevan Komnenos-suvun jäsenille. Ristiretkien ja läntisen feodaalijärjestelmän vaikutuksesta oikeuksia alettiin jakaa laajemminkin 1200-luvulla. Seurauksena valtion saama osa verotuloista väheni samalla, kun yläluokan aiheuttama taloudellinen rasite kasvoi. Seurauksena maasta alettiin periä talonpojilta myös vuokraa. Valtakunnan maa-alueen supistuessa valloitusten seurauksena kaupankäynnin verotuksen (kommerkion) merkitys kasvoi Bysantin loppuaikoina.[32]
1200-luvulta alkaen hallinneet Palaiologos-suvun keisarit olivat vaikeuksissa Bysantin talouden heikentyessä eivätkä keksineet siihen parantavia lääkkeitä, vaan pikemminkin vauhdittivat talouden alamäkeä. Esimerkiksi italialaisille oli myönnetty kauppaetuja, jotka merkitsivät valtion tullitulojen vähenemistä. Ylellisyystavaroiden vientituotantoa pystyttiin kuitenkin jatkamaan. Valmistettiin silkkiä, kultabrokadia, koruja ja muuta taidekäsityötuotteita. Valtio kuitenkin puuttui näihin verotuksella ja rajoituksilla, mikä hyödytti italialaisia. Bysantin hallitus piti kotimaan kuluttajien puolia, mutta heikensi samalla vientiyritysten taloutta. Myös alamaisten työllisyydestä huolehdittiin, mutta se heikensi yritysten kannattavuutta, koska palkansaajia oli liikaa. Palaiologos-suvun keisarit turvautuivat yhä useammin rahan huonontamiseen saadakseen valtiontalouden kuntoon. Lopulta myytiin myös kruununjalokivet, jotka korvattiin väärennetyillä kivillä. Onkin sanottu, että Bysantin pitkä kuolinkamppailu oli ensi sijassa valtiontaloudellinen tragedia.[33]
Kulttuuri
Bysanttilainen kulttuuri oli hyvin Konstantinopoli-keskeistä.[4] Bysantin kirjallisuus oli aluksi lähinnä antiikin kreikkalaisen kirjallisuuden kristillisesti väritettyä jatkoa, eikä selkeää rajaa antiikin ja Bysantin kirjallisuuden välillä voida tehdä. 500- ja 600-luvuilla teologisen kirjallisuuden paino kasvoi ja maallisen kirjallisuuden määrä supistui. Maallinen kirjallisuus virkosi 800-luvulta alkaen, kun antiikin kirjallisuuden perinteitä alettiin elvyttää, kohoten vuosina 1000–1200 korkeimpaan kukoistukseensa.[19]
Bysanttilainen taide oli konservatiivista ja kunnioitti perinteitä. Kuvariitojen jälkeen maalaustaide kaavamaistui. Bysantin viimeisinä vuosisatoina korkeatasoista taidetta luotiin jälleen Konstantinopolin ulkopuolellakin. Länsimainen vaikutus lisääntyi ja taide sai monipuolisempia muotoja.[19] Erittäin huomattavia ovat käsikirjoituksia koristavat miniatyyrit. Rakennustaiteen tärkeimmät muistomerkit ovat Hagia Sofia eli Pyhän viisauden kirkko Konstantinopolissa (rakennettu 532–537), joka oli läpi keskiajan kristikunnan suurin kirkko, sekä Basilica di San Marco Venetsiassa. Bysanttilainen taide elää edelleen ortodoksisen kirkon kirkkotaiteessa.
Bysantin kirkko oli merkittävä toimija, ja kristillisyys oli keskeinen osa bysanttilaista kulttuuria ja yhteiskuntaa. Keisarikunnassa ei tehty selvää rajaa valtion ja kirkon välillä. Kirkon ja valtion suhdetta kuvattiin sopusoinnuksi eli "sinfoniaksi" tai "harmoniaksi". Kirkko ja valtio näkivät itsensä yhdessä ortodoksian eli oikeaoppisen kristillisen uskon puolustajina.[34][35][36] Bysantin aikana kehittyivät ne liturgiset muodot, jotka ovat edelleen käytössä koko ortodoksisessa kirkossa.[37]
Bysanttilaisen filosofian kaksi pääpiirrettä olivat hellenistinen rationalismi ja kristillinen perinne.[7] Bysanttilaista filosofiaa luonnehtii tiivis yhteys kristilliseen maailmankuvaan ja teologiaan, mutta se sai paljon vaikutteita ja ajatuksia antiikin kreikankielisistä filosofisista teksteistä, erityisesti Platonilta, Aristoteleelta ja uusplatonisteilta. Rajan vetäminen bysanttilaisen filosofian ja antiikin filosofian välillä, samoin kuin bysanttilaisen filosofian ja teologian välillä, ei olekaan suoraviivaista.[38] Toisaalta bysanttilaisesta filosofiasta on mahdollista erottaa myös antiikin ajattelun edelleenkehittelyä irrallaan kristillisestä ajattelusta.[39]
Ajanlaskua varten valtakunnassa oli käytössä oma, niin kutsuttu bysanttilainen ajanlasku.
Lähteet
Citation error, replace with{{cite book| author = Castrén, Paavo| title = Uusi antiikin historia| location = Helsinki| publisher = Otava| year = 2011| id = ISBN 978-951-1-21594-3}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Freeman, Charles| title = Egypt, Greece and Rome: Civilizations of the Ancient Mediterranean| location = Oxford| publisher = Oxford University Press| year = 2004| version = Second Edition| id = ISBN 0-19-926364-7| language = Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Gibbon, Edward| title = The Decline and Fall of the Roman Empire| publisher = Worldsworth Classics of World Literature| year = 1998| version = 28 selected chapters| id = ISBN 978-1-85326-499-3}}
Hakkarainen, Mika: "Bysanttilaisen kulttuurin lähteet". Teoksessa Citation error, replace with{{cite book| author = Lamberg, Marko & Lahtinen, Anu & Niiranen, Susanna (toim.)| title = Keskiajan avain| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2009| version = Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran Toimituksia 1203| id = ISBN 978-951-746-953-1| page = 353-364}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Haldon, John| title = Bysantin historia| location = Helsinki| publisher = Gaudeamus| year = 2010| version = (Byzantium: A History, 2000.) Suomennos: Kaisa Sivenius| id = ISBN 978-952-495-097-8}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Toropainen, Ritva (toim.)| title = Ikkunoita Bysanttiin| location = Oulu| publisher = Oulun yliopisto| year = 2003| version = Oulun yliopiston kirjaston julkaisuja 54| id = ISBN 951-42-7059-2| format = [ online version]}}
Viitteet
Kirjallisuutta
Suomeksi
Citation error, replace with{{cite book| author = Diehl, Charles| title = Bysantti: suuruuden aika ja rappeutuminen| location = Helsinki| publisher = Kirja| year = 1929}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Haldon, John F.| title = Bysantin historia| others = Translated by Kaisa Sivenius| publisher = Gaudeamus| year = 2010| version = Alkuteos: Byzantium History (Tempus 2000). Toimittanut Mika Hakkarainen| isbn = 951-662-959-8}}
Englanniksi
Citation error, replace with{{cite book| author = Kazhdan, Alexander & Constable, Giles| title = People and Power in Byzantium. An Introduction to Modern Byzantium Studies| publisher = Dumbarton Oaks| year = 1982| id = ISBN 0884021033| language = Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Mango, Cyril| title = Byzantium: The Empire of New Rome| publisher = Scribner| year = 1980| id = ISBN 0684167689| language = Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Norwich, John Julius| title = Byzantium (3 volumes)| publisher = Viking| year = 1991| id = ISBN 0-394-53778-5, ISBN 0-394-53779-3 ja ISBN 0-679-41650-1| language = Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Ostrogorsky, Georg| title = History of the Byzantine State| publisher = Rutgers University Press| year = 1969| id = ISBN 0-8135-1198-4| language = Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.}}
Aiheesta muualla
. Sivusto Itä-Roomasta. Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
. Projekti bysanttilaisten kohteiden historialliseksi ja arkeologiseksi inventoinniksi. Itävallan tiedeakatemia.
*
Luokka:Seulonnan keskeiset artikkelit
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Bysantin%20valtakunta |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
491,
1332,
1485,
2209,
2838,
3755,
4274,
4903,
5409,
5918,
6632,
7037,
7508,
8396,
9327,
9585,
10408,
10852,
11273,
11404,
11890,
12313,
12544,
13252,
13527,
13933,
14235,
14403,
15225,
15955,
16947,
17808,
18126,
18940,
19758,
20038,
20219,
20605,
20961,
21225,
21574,
22320,
22507,
23533,
23746,
24311,
24729,
25063,
25885,
26264,
26700,
26986,
27356,
27518,
28236,
28588,
29258,
29703,
30492,
31052,
31327,
31821,
32068,
32306,
32569,
33078,
33549,
33956,
34217,
34607,
34909,
35576,
35762,
35920,
36631,
37665,
38134,
38609,
39102,
39390,
39985,
40604,
41545,
41900,
42328,
42462
],
"plaintext_end_byte": [
490,
1317,
1484,
2208,
2837,
3754,
4273,
4902,
5391,
5917,
6604,
7036,
7494,
8382,
9311,
9564,
10390,
10851,
11265,
11375,
11875,
12298,
12516,
13244,
13519,
13914,
14223,
14391,
15224,
15954,
16946,
17807,
18114,
18939,
19757,
20037,
20218,
20604,
20960,
21224,
21573,
22319,
22506,
23532,
23745,
24310,
24717,
25062,
25876,
26263,
26699,
26985,
27355,
27517,
28235,
28587,
29257,
29702,
30491,
31051,
31326,
31820,
32067,
32305,
32568,
33077,
33548,
33955,
34216,
34606,
34908,
35575,
35761,
35919,
36630,
37664,
38133,
38587,
39084,
39369,
39984,
40603,
41530,
41899,
42313,
42452,
42501
]
} | 유전자 가위를 처음 개발한 국가는 어디인가? | 유전자 치료 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
유전자 치료(遺傳子治療, )란 비정상 유전자를 정상 유전자로 대체시켜 유전적 결함을 치료하거나 새로운 기능을 추가하는 획기적인 치료법이다.[1][2] 1980년대부터 시도되었고, 1990년대에 들어서 성공 사례들이 보고되기 시작되었다. 성공 사례가 보고된 1989년 이래로 2016년 2월까지 2,300여 건의 임상 시험이 수행되었으며 그 중 절반 이상이 임상 1단계에서 실시되었다.[3]
넓은 의미에서, 환자의 유전자를 포함한 유전체 구성에 변화를 초래하는 모든 의료절차가 유전자 치료로 간주된다.[4] 근본적으로 유전자 치료의 목적은 유전 질환을 앓고 있는 사람의 유전적 결함을 교정하는 데 있다. 치료법에는 체세포 유전자 치료와 생식 세포 유전자 치료 두 가지가 있다. 체세포 유전자 치료는 특정 기관 또는 조직에 생긴 유전적 결함을 치료하는 것이다. 그리고 생식 세포 유전자 치료는 난자, 정자 또는 수정란을 사용하여 교정된 유전자를 갖춘 개체를 만드는 것이다. 이러한 치료 방법을 통해 형성된 유전적 변화는 다음 세대에 전달될 수 있기 때문에 심각한 사회적, 윤리적 논란이 대두되고 있다.
연구 배경
유전자 치료는 1972년 인간 유전자 치료 연구를 시작하기 전에 주의부터 촉구한 한 저자에 의해 처음 개념화되었다.
유전자 치료에서의 첫 번째 시도는 1980년 7월 10일에 마틴 클라인 (Martin Cline)에 의해 수행되었다.[5][6] Cline은 환자의 유전자 중 하나가 6개월 후에 활성화되었다고 주장하지만, 이 데이터를 공개하지 않았고, 공개했다고 하더라도 베타 지중해 빈혈(β-thalassemia) 치료에 도움이 되지 않았을 것이기에 그의 연구 결과는 설득력을 잃었다.[7] 1980 년대의 실험동물에 대한 광범위한 연구와 1989년 박테리아 유전자 도입 실험의 성공을 통해 1990년 9월 14일 아샨티 데실바(Ashanti DeSilva)가 중증면역결핍증을 치료받은 사례가 첫 번째 성공 사례로 알려져 있다.[8]
영구적인 유전적 변화를 일으킨 최초의 체세포 유전자 치료는 1993년에 보고되었다. 유전자 치료는 유전적 결함을 그 근원에서 고치는 방법이다. DNA와 RNA를 포함하는 외래의 고분자는 단백질로 번역되거나, 표적 유전자 발현을 방해하거나, 유전자 돌연변이를 바로 잡을 수 있다. 가장 일반적으로는 돌연변이 유전자를 대체 할 기능적 치료 유전자(예를 들면 정상적인 유전자)를 암호화하는 DNA를 사용한다. 이 DNA는 세포 내에서 분자를 운반하는 벡터(vector)내에 포장되어 있다.
초기의 임상실험에서의 실패는 유전자 치료에 대한 무관심으로 이어졌다. 2006년 이래로 임상실험의 성공은 연구자들의 관심을 불러일으켰지만, 2014년까지는 여전히 신뢰를 얻지 못하는 그야말로 실험적인 기술이었다. 이러한 실험적인 기술이었던 유전자 치료는 시신경 위축병(Leber disease)[9][10][11][12] 맥락막 위축(choroideremia),[13], X-연관 중증 면역결핍증[14], ADA(Adenosyl deaminase)-중증면역결핍증[15][16], 부신백질이영양증[17], 망막 질환의 치료 등에 이루어졌다. 만성 림프성 백혈병 (CLL)[18] , 급성 림프구성 백혈병(ALL)[19], 다발성 골수종(multiple myeloma)[20], 혈우병(Haemophilia) [16], 파킨슨 병(Parkinson 's disease)[21] 등의 유전자 치료에 2013년부터 2014년 4월까지 미국의 기업들은 6억 달러 이상을 투자했다.
최초의 상업적 유전자 치료제인 Gendicine은 2003년 중국에서 암 치료제로 승인을 받았다.[22] 2011년에 Neovasculgen은 러시아에서 중요한 사지허혈을 포함하여 말초동맥질환 치료를위한 최초의 유전자 치료제로 등록되었다.[23] 희귀 유전질환 치료제인 글리베라(Glybera)는 유럽 위원회(European Commission)의 승인을 거쳐 유럽과 미국을 통틀어 임상적 용도로 승인 된 최초의 유전자 치료제가 되었다.[24][25]
지금까지의 의학, 임상적 치료는 질병이 발병한 후에 해당 질병의 물리적으로 원인을 제거하거나 유기합성을 통해 만들어진 화합물을 투여하여 질병의 원인이 되는 물질을 억제하는 방법들이 주류를 이루었다. 유전자 치료의 경우는 질병을 가진 개체의 유전체 자체를 변화시켜 질병의 원인을 제거하거나 비정상적인 기능을 보이는 유전자들이 제 기능을 찾을 수 있도록 돕는 치료 방법으로, 기존의 치료 방법과 다르게 질병의 원인 자체를 조절할 수 있다는 장점을 가진다.
초기의 유전자 치료에 대한 연구는 주로 결함이 있는 유전자를 대체하거나 파괴하는 방법에 중점이 맞추어졌다. 그 중에서도 단일 유전자 돌연변이로 일어나는 비교적 단순한 질병의 치료에 집중했다. 현재는 단일 유전자 변이의 교정에 그치지 않고 유전자 가위 등을 이용하여 유전체를 편집하고, 원하는 유전자의 발현을 가속화할 수 있는 방법까지도 연구되고 있다.
원리와 방법
유전자 치료의 간단한 원리</b>는, 바이러스 벡터를 운반체로 하여 DNA, RNA를 포함하는 환자가 필요로 하는 고분자를 환자의 유전체에 도입시켜주는 것이다. 일반적으로는 바이러스 벡터를 정맥에 주사하는 방법을 이용한다. 인체 피해를 최소화 하도록 조작된 바이러스를 이용해 DNA를 도입[26]했음에도 불구하고, 바이러스에 의한 피해는 여전히 유전자 치료의 부작용으로 꼽히고 있다.
초기에는 주로 원하는 단백질을 발현시키는 유전자를 투여하는 데에 중점을 두었고, 기술이 발전함에 따라 3세대 유전자 가위인 CRISPR 등을 사용하여 직접적인 유전체 편집을 시도하는 방향으로 연구가 진행되었다. 바이러스 벡터는 환자의 유전체에 유전자를 직접 도입하고, 원하는 단백질을 발현할 수 있게 하거나 핵산 분해효소(CRISPR 등)를 발현하여 환자가 치료효과를 얻을 수 있도록 한다. 기존의 연구는 1980년대 후반부터 꾸준히 진행되었고, 유전자 가위를 이용한 유전자 치료는 2010년대에 보고되기 시작했다.[27]
세포의 종류
체세포
체세포 유전자 치료(SCGT)에서 치료에 필요한 유전자는 배아 세포, 배우자 세포 또는 미분화 줄기 세포가 아닌 다른 세포로 옮겨진다. 그러한 유전체 변형은 개개인에게만 영향을 미치며 자손에게 유전되지 않는다. 체세포 유전자 치료법은 질병을 치료하기 위해 치료용 DNA를 사용하는 기본적인 치료법이다.
미국에서는 체세포 유전자 치료를 이용한 600 건이 넘는 임상 시험이 진행중이다. 이 치료는, 면역 결핍증, 혈우병, 지중해 빈혈 및 낭포성 섬유증을 비롯한 심각한 유전 질환에 중점을 두고있다. 이러한 단일 유전자 질환은 체세포 치료를 위한 좋은 후보군이다. 하지만 유전 질환의 완전한 교정이나 여러 유전자의 대체는 아직 가능하지 않다. [28]
생식세포
생식세포 유전자 치료(GGT)에서, 생식세포(정자 또는 난자 세포)는 기능 유전자를 그들의 유전체로 도입함으로써 변형된다. 생식세포를 수정하면 해당 생물체의 모든 세포가 변형 된 유전자를 포함하게 된다. 그러므로 이러한 생식세포 유전자 치료에 의한 유전체의 변화는 유전되어 다음 세대로 넘어간다. 호주, 캐나다, 독일, 이스라엘, 스위스, 네덜란드[29] 등의 국가는 SCGT[30]와 비교하여 미래 세대에 발생할 수있는 위험[29]에 대한 지식과 기술의 부족 및 윤리적 이유로 생식세포 유전자 치료가 인간에게 적용되는 것을 금지하고있다. 하지만 미국은 생식세포 유전자 치료를 포함하는 인간의 유전자 변형(치료)을 다루는 연방 정부의 통제가 없다.[29][31][32][33]
줄기세포
기존의 유전자 치료 방법은 대부분 체세포를 타겟으로 한 유전자 치료였다. 이러한 방법들은 치료효과가 오래가지 않아 주기적으로 치료를 받아야하는 번거로움이 있었다. 하지만 자기 재생능력을 갖는 줄기세포를 이용하여 유전자 치료를 하게되면, 원하는 유전자를 갖는 세포가 오랜시간 체내에 남아있기 때문에 이러한 번거로움을 줄일 수 있다는 장점을 가진다. 줄기세포를 이용한 유전자 치료는 2010년대에 들어 보고가 되기 시작했으며, 현재까지 조혈모세포(hematopoietic stem cell), 신경줄기세포(neural stem cell) 그리고 중간엽 줄기세포(mesenchymal stem cell)을 이용하여 여러 질병들을 치료했다고 보고되었다. 자세한 내용은 줄기세포 문서의 유전자 치료 항목에서 다루고 있다. [34][35][36][37][38]
벡터(vector)
DNA를 세포 내로 운반하는 방법은 여러 가지가 있다. 두 가지 주된 방법은, 재조합 바이러스 (바이러스 벡터) 및 히스톤이 제거된 DNA(naked DNA) 또는 DNA 복합체(비 바이러스) 방법이다.
바이러스 벡터
바이러스는 복제를 위해 유전 물질을 숙주세포에 도입하여 숙주의 세포 기관을 속여 이를 바이러스 단백질을 발현하는 도구로 사용한다. 레트로 바이러스(retrovirus)는 유전물질을 숙주 세포의 유전체로 복사한다. 과학자들은 바이러스의 유전물질을 치료용 DNA로 대체하는, 즉 바이러스를 DNA의 운반체로 사용하는 방법</b>을 이용한다. 레트로 바이러스, 아데노 바이러스(adenovirus)[3] 그리고 렌티 바이러스(lentivirus) 등이 이에 이용된다. 바이러스의 유전 물질(DNA 또는 RNA)처럼, 치료용 DNA는 자연적으로 분해되거나 분해되어 숙주의 게놈에 들어갈 수 있도록 설계되어 감염된 숙주 세포 DNA에 영구적으로 귀속된다.
비 바이러스
비 바이러스 방법은 바이러스 벡터를 이용하는 방법에 비해 면역 반응에 의한 피해가 적고, 대량 생산이 가능하다는 장점을 가진다. 그러나, 비 바이러스 방법은 바이러스 벡터를 이용하는 방법보다 낮은 형질 전환 혹은 유전자 발현 효율을 보였고 이에 따라 낮은 치료 효과를 보였다. 최근에는 이를 보완하는 연구들이 보고되고 있다.
비 바이러스 유전자 치료법은 히스톤이 제거된 DNA 직접 주입, 전기 천공법(electroporation), 유전자 총(gene gun), 초음파 천공법(sonoporation), 자기장을 이용한 자기주입법(magnetofection), 올리고 뉴클레오타이드(oligonucleotides), 리포솜 내에 약물을 넣는 방법(lipoplexes), 덴드리머 및 무기(inorganic) 나노 입자의 사용을 포함한다.
한계
해결되지 않은 문제들이 많은데, 해결되지 않은 문제 중 일부는 다음과 같다.
짧은 치료 효과 기간
유전자 치료 요법이 영구적인 치료법이 되기 위해서는 표적 세포에 도입된 치료용 DNA는 지속적으로 기능을 유지해야하며 치료용 DNA가 들어있는 세포가 안정적이어야 한다. 유전체에 치료용 DNA를 도입하는 것과 급속히 분화하는 세포들의 특성으로 인해 장기(영구)적인 치료 효과를 얻지 못하는 문제가 있다. 환자는 여러번 주기적으로 치료를 받아야 한다.
면역 반응
이물질이 인체 조직에 유입될 때마다 면역계가 자극되어 침입자를 공격하는 면역 반응이 일어난다. 면역계가 이전에 보았던 바이러스에 대한 면역 반응의 향상은 반복된 치료의 효과를 감소시킨다.
바이러스 성 벡터의 문제점- 바이러스 성 벡터는 독성, 염증 반응 및 유전자 제어 등의 위험성을 가지고 있다.
다발 장애
심장병, 고혈압, 알츠하이머 병, 관절및 당뇨병과 같이 흔히 발생하는 장애는 단일 유전자 질병과는 달리 여러가지 유전자의 변이에 의해 영향을 받는다.
삽입 돌연변이 유발
DNA가 종양 억제 유전자와 같은 유전체의 민감한 위치에 도입되면 종양을 유도 할 수 있다. 이러한 삽입 돌연변이는 조혈모세포에 레트로 바이러스를 이용하여 교정된 유전자를 도입해, X-linked severe immunodificiency (X-SCID) 환자를 치료하는 임상 시험에서 발생했으며 이로 인해 20 명의 환자 중 3명에서 T세포 백혈병이 발병했다.[39][40] 한 가지 해결 방법은 도입될 DNA에 기능성 종양 억제 유전자를 추가하는 것이다. 이것은 DNA가 길수록 세포의 유전체에 도입되는 것이 어렵기 때문에 치료 효과를 낮출 수 있다는 문제를 가지고 있다.[41]
비용
예를 들어 지질 단백질 분해효소(lipoprotein lipase) 결핍 치료제인 Alipogene tiparvovec 또는 글리베라는 환자 당 160만 달러(한화 약 17억원)의 비용으로 2013 년에 세계에서 가장 값 비싼 약으로 보고되었다.[42][43]
죽음
유전자 치료 임상 시험에서 3명의 환자의 사망이 보고되었다. Jesse Gelsinger는 면역 거부 반응으로 사망했고,[44] X-SCID 환자 한 명이 2003년에 백혈병으로 사망했다.[8] 2007 년 류마티스 관절염 환자가 발병하였다. 하지만 후속 연구는 그들의 사망이 유전자 치료와 관련이 없다고 결론 지었다.[45][46]
역사
1970년대
1972년 프리드먼(Friedmann)과 로빈(Roblin)은 "인간의 유전병에 대한 유전자 치료법"이란 제목의 과학서적을 저술했다.[47] 로저스(Rogers)는 유전적 결함을 가진 사람들의 DNA를 외부의 DNA를 이용해 치료하는 방법을 제안했다.[48]
1980년대
1984년 레트로 바이러스를 이용하여 포유류의 염색체에 효율적으로 외래의 유전자를 삽입하는 방법이 보고되었다. [49]
1990년대
미국에서 최초로 승인된 유전자 치료 임상 연구는 1990년 9월 14일 국립 보건원(NIH)에서 윌리엄 프렌치 앤더슨(William French Anderson)의 지시하에 진행되었다.[50] 4세의 아샨티 데실바 (Ashanti DeSilva)는 심각한 면역체계 결핍에 의해 발생하는 중증 면역 결핍증을 치료받았다. 결함을 가진 환자의 혈액세포가 외래의 DNA로 대체되었다. 아샨티의 면역체계는 치료로 부분적으로 회복되었다. 하지만 앞서 언급한 것과 같이 결핍되었던 효소의 생성은 일시적으로만 발현되었고, 이러한 정상 기능 유전자를 발현하는 새로운 세포는 생성되지 않았기 때문에, 환자는 2주마다 주사를 통해서만 질병으로부터 자유로운 생활이 가능했다.[51]
암 유전자 치료는 1992/93년에 도입되었다.[52] 치명적인 악성 뇌종양인 다형성 교모세포종(glioblastoma multiforme)의 치료는 안티센스 인슐린 유사 성장인자-1(IGF-I) RNA(1993년 11월 24일 미국 국립보건원 프로토콜 No.1602 및 1994년 미국 식약청(FDA)승인 임상 시험)를 이용하여 수행되었다.[53] 안티센스 RNA를 투여하게 되면 상보적인 RNA와 결합하여 번역을 막고, 이들의 결합체는 RNase에 의해 분해되게 된다. 또한 이 치료법은 강력한 면역 및 세포 사멸 현상과 관련된 안티센스 인슐린 유사 성장인자-1 RNA의 항 종양 기전으로 인해 암 면역 제제 치료의 시초가 되었다.
1992년 Vita-Salute San Raffaele 대학의 Claudio Bordignon은 유전 질환을 가진 환자의 유전체를 교정하기 위해 조혈모세포를 최초로 이용했고, 이러한 컨셉의 연구는 2002년 아데노신 탈 아미노화 효소(adenosine deaminase deficiency, ADA-SCID)의 돌연변이로 인한 중증 면역결핍증(ADA-SCID) 치료의 성공에 기여했다.[54] 하지만 프랑스 파리에서 아데노신 탈 아미노화 효소의 돌연변이로 인한 중증 면역결핍증(ADA-SCID)에 대해 유전자 치료를 받은 10명의 어린이 중 2명이 백혈병과 유사한 증상을 보이자, SCID(중증 면역결핍 또는 "버블 보이"질병)를 앓고있는 어린이들을 유전자 치료로 접근하는 것이 옳은지에 대해 의문이 제기되었다. 임상 시험은 2002년 일시적으로 중단되었지만 미국, 영국, 프랑스, 이탈리아, 독일에서 치료 과정에 대한 규제 검토를 거쳐 재개되었다.[55]
1993년 앤드류 고베(Andrew Gobea)는 태어나기 전 유전자 스크리닝을 통해 중증 면역결핍증을 판정받았다. 출생 직후 치료를 위해 그의 어머니의 태반과 탯줄의 혈액에서 조혈모세포를 획득하였다. 그리고 ADA를 코딩하는 대립 유전자를 획득하여 레트로 바이러스에 삽입 하였다. 앞서 얻은 조혈모세포와 ADA가 도입된 레트로 바이러스를 섞어 레트로 바이러스의 ADA가 조혈모세포의 유전체로 도입되게 하였고, 이렇게 얻은 ADA를 포함하는 조혈모세포를 앤드류의 혈액에 주입하는 것 뿐 아니라 매주 ADA를 직접 주사해주는 방법으로 치료가 진행되었다. 4년간 조혈모세포로부터 생산된 T세포(백혈구)는 정상적인 ADA 유전자를 이용하여 ADA 효소를 만들었다.[56]
1999년 제시 겔 싱어(Jesse Gelsinger)의 임상 시험상에서의 사망은 유전자 치료 연구에 대한 회의적인 시각을 불러 일으켰다.[57][58] 결과적으로, 미국 식약청은 윤리 및 절차에 대한 재평가가 진행되기까지 여러 임상 시험을 중단했다.[59]
2000년대
2002년 Wiley 유전자 치료의 임상 시험에서 안티센스 인슐린 유사 성장인자-1 RNA 의 암 유전자 치료 전략을 기존의 것에서 안티센스/삼중나선 인슐린 유사 성장인자-1 접근법으로 수정하였다.[53] J. Trojan이 이끄는 유전자 치료를 위한 미국, 프랑스 그리고 폴란드로 이루어진 NATO Science Programme에 의해 수행된 이 접근법은 교모세포종(glioblastoma), 간, 대장, 전립선, 자궁, 난소암 등 6가지의 악성 종양 치료에 좋은 효과를 보였다. 이 안티센스/삼중나선 치료는 전사 및 번역 수준에서 동시에 인슐린 유사 성장인자-1의 발현을 중단시키고 종양에 저항하는 면역 반응 및 세포 사멸 현상을 강화하여 이러한 질환들을 치료한다.
2002년 쥐에서 겸상 적혈구 빈혈(Sickle cell disease)을 치료할 수 있음이 알려졌다.[60] 쥐의 경우, 인간의 경우와 같은 유전적 결함을 가지고 이런 질환 증상은 쥐에서 바이러스 벡터를 통해 태어난 직후까지만 생산되는 태아 상태의 헤모글로빈을 도입하는 방법으로 치료가 가능했다. 이전까지, 인간의 경우에는 수산화요소(hydroxyurea)를 이용하여 태아 상태의 헤모글로빈 생산을 유도해 겸상 적혈구 빈혈의 증상을 일시적으로 완화시킬 수 있었다. 연구자들은 이러한 hydroxyurea를 이용하는 방법보다 바이러스 벡터를 이용해 태아 상태의 헤모글로빈을 도입하는 방법이 보다 영구적이고 효율적인 치료 방법임을 제시했다.[61]
잘못된 유전자로부터 전사된 전령 RNA(messenger RNA, mRNA)를 고치는 새로운 유전자 치료의 접근법이 제안되었다. 이 기술은 지중해 적혈구 빈혈병, 낭포성섬유증(cystic fibrosis) 그리고 몇몇 암의 치료에 사용되었다.[62]
연구자들은 치료에 필요한 DNA를 감싸는 리포솜(liposome)을 25나노미터 수준으로 만들어 핵막을 통해 전달할 수 있는 방법을 보고했다. [63]
2003년 한 연구팀은 혈액-뇌 장벽(Blood-Brain Barrier, BBB)을 가로지를 수 있을만큼 작은 폴리에틸렌 글리콜(polyethylene glycol)이라는 고분자로 코팅 된 리포솜(liposome)을 사용하여 최초로 뇌에 유전자를 도입했다. 기존의 바이러스 벡터를 이용해 유전자를 도입하는 방법으로는 불가능했던 일이다. [64]
짧은 가닥의 간섭 RNA(short interfering RNAs, siRNA)는 세포에 의해 특정 서열의 RNA를 분해하는데 사용되는데, siRNA가 잘못된 유전자로부터 복사 된 RNA와 상보된 서열을 갖도록 설계된다면, 그 유전자의 RNA는 siRNA와 결합하여 분해되어 비정상적인 단백질은 생산되지 않는다. [65]
조작된 아데노 바이러스를 사용하여 종양 억제 유전자 p53을 전달하여 암을 치료하는 Gendicine은 2003년 중국에서 두경부 편평상피암(head and neck squamous cell carcinoma)의 유전자 치료제로 승인을 받았다. [22]
2006년 3월, 연구자들은 골수세포에 영향을 미쳐 면역 체계에 피해를 입히는 X-연관 만성 육아종증을 가진 어른 2명을 유전자 치료를 통해 치료에 성공했다고 보고했다. 이 보고는 골수의 면역체계를 유전자 치료를 통해 치료할 수 있음을 보인 첫 번째 사례이다. [66]
5월, 한 팀은 면역 체계가 외래 유전자를 거부하는 반응을 방지하는 방법을 보고하였다.[67] 면역 체계는 장기 이식에서와 마찬가지로 외래의 유전자를 가진 세포를 외부의 것으로 인식하여 이를 거부하며, 이는 유전자 치료의 효율을 낮춘다. 이 연구팀은 그 때까지는 알려져있지 않던, microRNA에 의해 조절되는 유전자들의 상호작용을 이용했다. microRNA가 면역 체계로 하여금 외래 유전자를 찾는 데에 도움을 주었기 때문에, 쥐에서 면역 세포에서 발현하는 microRNA의 목표 서열을 도입해 microRNA의 작용을 막자 더 이상 외래 유전자를 거부하는 반응을 보이지 않았다.
8월, 연구자들은 킬러 T 세포가 암세포를 공격하도록 유전적 변화를 유도해 전이성 흑색종(metastatic melanoma)을 가진 2명의 환자를 치료했다.[68]
11월, 연구자들은 HIV 바이러스의 표면을 암호화하는 유전자와 상보적인 유전자를 렌티바이러스(lentivirus)를 통해 도입함으로써 HIV를 제거하는 면역치료제(VRX496)를 보고했다. 레트로 바이러스를 이용한 치료에 효과를 보지 못한 5명의 만성 HIV 감염 환자를 대상으로 임상 1상이 진행되었고, 이 시험에서 이들은 자신에게서 유래한 CD4 T 세포를 VRX496을 이용하여 유전적으로 변형시켜 다시 정맥으로 주사하는 치료를 받았다. 5명 중 4명의 환자에서 CD4 T 세포의 숫자가 증가함을 확인했고, 바이러스 수치 역시 낮아지거나 안정한 상태를 유지하는 등 치료의 효능이나 안정성에서 문제가 없음을 보였다. 이 다섯명의 환자 모두 HIV 항원 뿐 아니라 다른 병원균에도 강해진 면역반응을 보여주었다. 이 시험은 미국에서 인간의 치료를 위해 렌티 바이러스가 허용된 첫 시험이었다.[69][70]
2007년 5월 연구자들은 처음으로 선천적인 망막 질병을 치료하기 위해 유전자 치료법을 사용했다. 23세의 영국인 로버트 존슨(Robert Johnson)이 이 치료를 받았다.[71]
2008년 레버 병(Leber's congenital amaurosis)은 RPE65 유전자의 돌연변이로 인해 선천적으로 눈이 머는 질병이다. 아이들을 상대로 아데노 바이러스 바이러스에 RPE65 유전자를 도입한 임상 시험 결과가 4월 처음 보고되었다. 5월에 다른 두 연구팀의 독립적인 임상에서 이러한 방법을 이용한 유전자 치료가 효과를 보였음을 보고하였다. 총 3개의 임상 시험에서 환자들은 명확한 부작용을 겪지 않은 채 시각 능력을 회복하였다.[9][10][11][12]
2009년 9월, 연구자들은 다람쥐 원숭이(squirrel monkey)에게 3가지의 색을 볼 수 있는 능력을 주었다.[72] 11월에는 ABCD1 유전자의 돌연변이로 생기는 치명적인 질병으로 알려진 부신백질이영양증(adrenoleukodystrophy, ALD)을 가진 두 명의 어린이를 렌티 바이러스를 이용한 ABCD1 유전자의 도입을 통해 치료에 성공했다.[73]
2010년대
2010년 4월, 늙은 개들에서는 효과를 크게 보진 못했지만, 색맹(achromatopsia)을 가진 어린 개들의 원추형의 광수용체를 유전자 치료를 통해 치료하자 광수용체의 기능 뿐 아니라 낮 동안의 시각 능력이 최소 33개월 이상 회복되었다는 논문이 보고되었다.[74]
9월, 선천적으로 베타 헤모글로빈을 만들어내지 못해 평생 수혈을 받으면서 살아가야하는 것으로 알려진 베타-지중해성 적혈구 빈혈을 가진 18세의 환자가 성공적으로 치료되었음이 보고되었다.[75] 이 시험에서 역시 렌티 바이러스를 이용하여 베타 글로빈 유전자를 도입해 환자 유래의 혈액 및 골수세포에 넣어주었다.[76] 환자의 헤모글로빈 수치는 9-10g/dL로 안정한 수치를 보여주었고, 더 이상 수혈을 필요로 하지 않았다.[76][77] 긍정적인 결과로 인해, 이후의 임상이 예정되었다.[78] 당시까지만해도 이 질병에 대한 치료 방법은 골수이식 뿐이었는데 , 약 75%의 환자가 그들에게 호환되는 골수를 찾지 못했었다.[77]
2011년
2007년과 2008년, HIV 치료를 받았던 환자가 HIV가 세포에 도입될 때 이용하는 것으로 알려진 C-C 케모카인 수용체-5(C-C chemokine receptor type 5)의 돌연변이를 가진 조혈모세포 이식을 시도했다.[79] 의학계가 찬성하기는 했으나, 이 치료는 몸에 있는 골수를 모두 제거해야하는 위험한 시험이었다.
8월 3가지 예비 시험 중 2가지가 만성 림프 구성 백혈병(chronic lymphocytic leukemia, CLL)을 완치 시켰음이 확인되었다.[18] 이 치료에는 질병을 유발하는 CD19 단백질을 공격하도록 유전적으로 변형된 T 세포가 이용되었고, 2013년 이 치료를 통해 59명 중 26명의 환자가 병으로부터 완벽히 회복했고, 암으로부터 자유로운 상태를 유지했다.[80]
인간의 간세포 성장인자(hepatocyte growth factor, HGF)를 이용한 심근(cardiomyocytes)의 유전자 치료는 관상동맥질환(coronary artery disease)과 심근경색(myocardial infarction) 이후 심장의 손상에 대한 치료 방법로 시험되고 있다.[81][82]
2011년 Neovasculgen은 하지허혈(limb ischemia)을 동반하는 말초동맥질환(peripheral artery disease)의 유전자 치료제로, 유전자 치료제로는 처음으로 러시아에서 승인되었다. 이 치료제는 인간의 혈관표피형성인자(Vascular endothelial growth factor, VEGF)를 암호화하는 유전자를 운반한다.[83][23] [84][85]
2012년 7월 FDA는 10명의 환자를 포함하는 적혈구성 빈혈병에 대한 임상을 허가했다.[86] 이 연구는 2015년까지 계속되었다.[78]
7월, 유럽의약청(European Medicines Agency)은 유럽과 미국 중 처음으로 유전자 치료요법 승인을 권고했다. 심각한 췌장염 등을 일으킬 수 있는 지질단백질 분해효소(lipoprotein lipase)의 결핍을 치료하는 글리베라(Glybera)에 대한 승인이 권고되었고[24][25][87][88] 그 후 2014년 후반기에 시판되었다.[89] 2012년, 글리베라 치료를 받기 위해서는 160만 달러(한화 약 17억원)가 필요했고[90], 2015년에는 100만 달러(약 11억원)로 줄어들었지만[91] [92] 여전히 세계에서 가장 비싼 의약품이다. 2016년에는 단 한명의 환자만이 이 치료제로 치료를 받은 것으로 알려졌다.[93]
12월, 다발성 골수종(multiple myeloma)을 가진 환자들에게 골수종에서만 발현하는 항원인 NY-ESO-1과 LAGE-1을 목표물로 잡을 수 있도록 유전적으로 변형된 T 세포를 주사하자, 3개월 후 13명 중 10명의 환자에서 완벽에 가까운 질병 완화효과를 보였다는 결과가 보고되었다.[20]
2013년 3월, 급성 림프성 백혈병(acute lymphocytic leukemia)를 가진 환자들에게 표면에 CD19를 발현하는 B 세포들을 공격하는 유전적으로 변형된 T 세포를 주사하자, 5개월에서 2년 후 5명의 환자 중 3명의 환자에서 완벽에 가까운 질병 완화효과를 보였다는 결과가 보고되었다. 연구자들은 환자들이 골수까지 받았기 때문에 그들의 면역 체계가 몇달 후면 정상적인 T 세포와 B 세포를 만들어낼 것이라고 믿었다. 하지만 한 환자는 병이 재발하여 사망하였고, 한 환자는 병과는 무관한 혈전(blood clot)으로 사망하였다.[19]
4월, 임상 1상에서 긍정적인 결과를 얻었기 때문에 연구자들은 몇몇 병원의 250명의 combat heart disease 환자를 통해 임상 2상을 시작하겠다고 밝혔다.[94] 치료는 심장 근육에 있는 단백질인 SERCA2를 증가시켜 심장 근육의 기능을 강화시키는 방향으로 고안되었다.[95] FDA는 임상을 승인했지만[96] 2016년, 이 치료는 효과가 없다고 보고되었다.[97]
7월, 연구자들은 2가지의 심각한 유전질환을 가지는 6명의 어린이들이 7-32개월 동안 렌티 바이러스를 이용한 유전자 치료를 받아 좋은 예후를 얻게 되었다고 보고했다. 임상에 참여한 6명의 아이들 중 3명의 아이들은 감각과 근력을 잃어버리는 이염백색질장애(metachromatic leukodystrophy)를 가진 아이들이었고,[98] 다른 3명의 아이들은 감염으로부터 취약해지는 것 뿐 아니라 자가면역 질환과 암을 일으키게되는 Wiskott-Aldrich 증후군을 가진 아이들이었다.[99] 좋은 결과를 얻은 앞선 6명의 아이들 뿐 아니라 후속된 6명의 Wiskott-Aldrich 증후군을 가진 아이들에 대한 임상에서도 좋은 예후를 보였다. [100][101]
10월, 연구자들은 면역 체계가 전혀 일을 하지 못해 "bubble children"[16]으로도 알려진 아데노신 탈아미노화효소 결핍으로 인한 중증 면역결핍증(ADA-SCID)을 가진 채 태어난 2명의 아이들을 유전적으로 변형된 줄기세포로 18개월동안 치료하자 그들의 면역 체계가 완전히 회복되었다고 보고했다. 나머지 3명의 아이들 역시 좋은 예후를 보이고 있다.[16] 2014년 ADA-SCID를 가진 18명의 어린이가 추가적으로 치료를 받아 완치되었다.[102]
역시 10월에 연구자들은 6명의 혈우병(hemophilia) 환자를 2011년 초부터 치료해왔다고 보고했고, 2년 후인 2013년 6명의 환자 모두 혈액을 응고시키는 인자(clotting factor)를 생산할 수 있게되었다고 보고했다. [16][103]
2014년 1월 연구자들은 6명의 이전까지 알려진 치료방법 없이 시야를 잃어가는 질병인 맥락막 결여(choroideremia)를 가진 환자들이 Rab Escort Protein 1(REP1)을 암호화하는 유전자가 도입된 아데노 바이러스를 이용하여 치료받았다고 보고했다.[104][105] 6개월-2년의 치료 후 이들은 모두 시야를 되찾을 수 있었고, 2016년 32명의 환자가 추가로 이 치료를 통해 긍정적인 결과를 얻었다.[13]
3월, 연구자들은 12명의 HIV환자가 2009년부터 앞서 언급한 HIV가 숙주 세포로의 감염에 이용하는 CCR5에 돌연변이를 일으키는 방법으로 치료를 받아 좋은 예후를 얻었다고 보고했다. [106][107]
겸상 적혈구 빈혈(sickle cell disease)에 대한 임상은 2014년 시작되었는데,[108][109] 이에 대한 이점과 위험성을 알기 위해 높은 수준의 무작위 통제 임상을 통해 접근할 필요가 있다.[110]
2015년 2월, 베타 지중해성 적혈구 빈혈병의 치료제로, 환자들이 수혈을 하지 않아도 될 정도로 병을 호전시켜 식약청으로부터 획기적인 신약이라는 평가를 받은 LentiGlobin BB305가 임상에 들어갔다.[111]
3월, 연구자들은 유인원 HIV에 감염된 원숭이들에 중화 항체(neutralizing antibody)를 암호화 하는 재조합 유전자를 투여하여 이들의 세포가 항체를 만들어 HIV를 제거한다는 결과를 보고했다. 이 기술은 유전자 전달을 통한 면역학적예방법(immunoprophylaxis)으로 불리게 되었다. 현재는 에볼라, 말라리아, 인플루엔자 그리고 간염에 대한 항체 실험이 실험동물 수준에서 이루어지고 있다.[112][113]
3월, 유전자 가위 CRISPR을 발명한 제니퍼 다우드나(Jennifer Doudna)를 포함한 과학자들은, "과학자들은 과학 및 정부 기관들 사이에서 유전자 치료의 영향이 완벽하게 논의 될 때까지 인간은 임상적 응용을 위한 생식세포의 유전체 변형을 낮은 수준에서 시도하지 않아야한다"며 생식세포의 유전자 치료에 대해 전세계의 모라토리움을 촉구했다.[114][115][116][117]
10월, 연구자들은 급성 림프성 백혈병으로 거의 죽음에 가까웠던 라일라 리차즈(Layla Richards)라는 소녀[118]의 공여 T 세포(donor T-cell)을 TALEN을 이용하여 유전적으로 변형시켜 암세포를 공격하게 하는 치료를 진행했다고 보고했다. 이 치료를 받은 이후 1년동안 그는 급성 림프성 백혈병으로부터 자유로웠다.[119]
12월, 과학자들은 CRISPR-Cas9 기술을 포함하는 인간의 유전체 편집에 대한 모라토리움을 주장했다.[120] 하지만 이들은 배아 유전자 편집을 포함하는 기초과학 연구는 지속되어야한다고 주장했다.[121]
2016년 4월, Medicinal Products for Human Use of the European Medicines Agency의 집행부는 유전자 치료제인 Strimvelis의 승인을 지지했으며,[122][123] 유럽연합 집행위원회는 6월에 이를 승인하였다.[124] 이 치료제는 ADA-SCID를 치료하는 데에 사용되는 유전자 치료제로 유럽에서 허가된 두번 째 유전자 치료제이다.[125]
10월, 중국의 과학자들은 CRISPR-Cas9을 이용하여 폐암을 앓는 10명의 환자의 T 세포가 암세포를 공격할 수 있도록 Programmed cell death protein 1(PD-1)를 암호화하는 유전자를 제거하여 다시 주사하는 방법으로 환자들을 치료하였다.[126][127]
2016년 Cochrane systematic review는 낭포성 섬유증 막통과전도도 조절자(topical cystic fibrosis transmembrane conductance regulator, CFTR)유전자 치료에 대한 4번의 시험에서, 유전자 치료가 낭포성 섬유증 환자를 치료하기 위해 사용되는 스프레이 만큼의 효과를 보이지 못한다고 판단했다. 4번 중 한 번의 시험에서 리포솜을 이용한 CFTR 유전자 치료가 약간의 호흡 개선을 유도할 수 있을 것이라는 미미한 가능성을 보여주었다. 이 미미한 가능성은 CFTR 유전자 치료를 임상적으로 추천하는 근거가 되기엔 턱없이 부족하다.[128]
2017년 2월, 카이트 파마(Kite Pharma)는 수백명의 비호치킨 림프종(Non-Hodgkin lymphoma) 환자를 CAR-T 세포를 이용해 치료에 성공했다고 보고했다.[129]
3월, 프랑스의 과학자는 겸형 적혈구 빈혈을 치료하기 위해 유전자 치료의 임상 연구를 진행하고 있음을 보고했다.[130]
8월, 미국 식약청은 급성 림프성 백혈병의 치료제인 Tisagenlecleucel을 승인했다.[131] Tisagenlecleucel은 B 세포 급성 림프성 백혈병을 입양세포 이식(adoptive cell transfer)을 통해 치료한다. 암을 가진 환자의 T 세포를 추출하여 암에 반응하는 T 세포 수용체를 만들도록 유전적으로 변형시켜 다시 환자에게 넣어주면 이 유전적으로 변형된 T 세포는 B 세포 표면의 CD19를 감지할 수 있다. 이 치료제는 미국에서 첫번 째로 승인된 유전자 치료제이다. 10월에는 이와 비슷한 치료제로, 비호치킨 림프종을 치료하는 axicabtagene ciloleucel의 사용을 승인했다.[132]
11월, 아데노 바이러스를 이용한 새로운 개념의 유전자 치료가 보고되었다. 일반적으로는 원하는 유전자를 넣어주는 단순한 방식으로 유전자 치료가 연구되어왔는데, 이 치료에서는 유전자 가위인 CRISPR을 이용하여 특정 유전자의 스위치 역할을 할 수 있는 유전자 프로모터 근처를 잘라 해당 세포가 원하는 유전자를 만드는 공장의 역할을 할 수 있게 했다. 쉽게 말하면, 기존의 유전자 치료는 유전자를 넣어주는 수준이었지만, 이 임상에서는 유전자를 넣어줄 뿐 아니라 유전자가 더 많이 발현할 수 있도록 하는 방법을 치료에 포함했다는 것이다. 이러한 방법을 통해 해당작용에 관여하는 효소의 부족으로 인한 발달지체, 장기부전, 뇌손상, 조기 사망 등을 일으키는 헌터 증후군을 치료하였다. 하지만 2018년 5월 현재, 예후를 보는 것은 조금 더 시간이 필요할 것으로 보인다. [133]
12월, 아데노 바이러스를 이용하여 혈액 응고인자-7(blood clotting factor VIII)를 도입하여 9명의 혈우병 환자를 치료한 결과가 보고되었는데, 고농도 요법을 받은 7명의 환자 중 6명에서 혈액 응고인자-7의 수치가 정상 수준으로 회복되는 것이 관찰되었다. 중간 이하의 낮은 농도의 요법에서는 환자들의 유의미한 혈액 응고능력 향상이 발견되지 않았다.[134][135]
12월, 미국 식약청은 첫 체내 유전자 치료제이자, Leber 병(Leber's congenital amaurosis)에 의한 실명 치료제인 Luxturna를 승인했다.[136] 양쪽 눈의 치료를 위해 드는 돈은 85만 달러(한화 약 9억원)이다.[137][138] 쥐뿐 아니라 인간에서도 난청을 일으키는 DFNA36 유전자 돌연변이를 CRISPR 유전자 편집 기술을 통해 치료할 수 있음이 쥐 실험에서 보고되었다.[139]
사용 전망
불임
유전자 치료 기술은 불임을 가진 사람들의 고민을 해결해줄 수 있을 것이다. 최근에는 쥐의 수준에서 CRISPR을 통한 유전자 치료가 불임을 개선해줄 수 있다는 연구결과가 보고되었다. 다른 개체로부터 정자를 형성하는 줄기세포를 추출해 불임인 수컷 쥐에게 이식하자 이들은 다시 정자를 만들 수 있는 능력을 가지게 되었고, 불임을 해결할 수 있었다.[140] [141]
유전자 도핑
운동 선수들은 유전자 치료를 통해 그들의 기량을 향상시킬 수 있다.[142] 유전자를 이용해 운동능력의 향상이 발생하는 지에 대해서는 알려지지 않았으나, 여러가지 유전자 치료는 효과를 낼 수도 있다.
인간 유전공학
유전공학은 질병을 치료하는 것 뿐만 아니라 외모, 대사의 변화를 비롯한 기억력과 지능을 포함하는 신체적, 정신적 능력의 향상에 이용될 수 있다. 생식세포의 유전체를 변형시키는 것에 대해, 태아는 유전적으로 변형되지 않은 채로 태어날 권리를 가진다는 주장, 부모는 자신의 자녀의 유전자를 선택할 권리가 있다는 주장, 모든 아이들은 예방이 가능한 모든 질병으로부터 자유로울 권리가 있다는 주장 등 서로 다른 주장이 존재한다.[143][144][145]
완전히 철폐한다거나, 모두에게 제공한다거나 스스로 알아서 하게하는 등의 방법들이 있다. 미국 의학 협회의 윤리 및 사법위원회는 특정 형질을 강화하는 유전자 조작은 엄격하게 제한된 상황에서만 허용이 고려되어야한다고 주장했는데, 이는 첫 번째로 태아나 어린이에게 명확하고 의미있는 혜택을 주는 경우, 두 번째로 다른 특성과 절충이 없는 경우, 마지막으로 소득이나 다른 사회 경제적 특성에 관계없이 유전 기술에 동등하게 접근 할 수 있는 경우이다.[146]
1990년대 생명공학 발전의 초기부터 인간의 생식세포의 유전체를 변형시켜서는 안된다는 주장이 있었고,[147] 기술이 발전함에 따라 우려의 목소리는 계속 나왔다.[148][149] CRISPR과 같은 최신 기술의 도래에 따라 앞서 언급한 것과 같이 2015년에는 과학자들이 인간의 생식세포 유전체 변형에 대한 모라토리움을 열기도 했고,[114][115][116][117] 2015년 4월에는 생존이 불가능한 인간의 배아의 유전체를 CRISPR을 통해 편집해도 되는 지에 대한 논쟁을 벌이기도 했다.[140][150] 미국 국립 과학 아카데미와 국립 의학 아카데미 위원회는 유전체 편집에 의한 안정성과 효능이 보장되어 있다면, 편집 대상이 심각한 상황에 처해있고 엄격하게 통제가능한 경우에만[151] 인간의 유전체 편집을 지지한다고 밝혔다.[152][153]
고려할 점
이론적으로는 인간과 다른 동물에게 유전자를 주입하는 것에는 큰 차이가 없다. 그러나 여기에는 복잡한 윤리적 그리고 기술적 문제점이 따른다. 따라서 형질 전환된 인간을 만들 수는 없으므로 더 효과적인 유전자주입 방법을 강구하기 위한 연구가 개발되어야 한다.
뿐만 아니라 열성 유전병과 우성 유전병을 치료하는 방법에는 기본적인 기술적 차이점이 있다. 열성 유전병은 특정 생성물의 결핍에 의해 나타나기 때문에 온전한 생성물 유전자를 생물체에 주입하면 된다. 이와 달리 우성 유전병의 경우에는 결함 유전자를 정상 상태로 전환시키거나 또는 불활성화시켜야 한다.
참고문헌
Ricki Lewis 외,《LIFE》,6th Ed.,Mc Graw Hill(2009)
이은희, 《하리하라의 몸 이야기》,1st Ed.,해나무(2014)
각주
분류:유전병
분류:분자생물학 | https://ko.wikipedia.org/wiki/%EC%9C%A0%EC%A0%84%EC%9E%90%20%EC%B9%98%EB%A3%8C |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
315,
787,
999,
1105,
1158,
1317
],
"plaintext_end_byte": [
314,
786,
998,
1104,
1157,
1301,
1439
]
} | Kalenda ya wayahudi iliandikwa na nani? | Ladino | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Ladino (pia: Kihispania ya Kiyahudi) ni lugha inayozungumzwa na Wayahudi katika nchi mbalimbali. Ni lugha ya karibu na [Kihispania] ikiwa na maneno ya Kiebrania ndani yake. Wasemaji wengi wako Israel, halafu Uturuki, Bulgaria na Marekani. Idadi ya wasemaji inaendelea kupungua; mnamo 1990 walikuwa 150,000 duniani.
Asili ya lugha hii ni jumuiya kubwa ya Wayahudi walioishi Hispania hadi karne ya 15. Hadi mwaka 1492 sehemu za Hispania ilitawaliwa na Waarabu. Baada ya kutekwa kwa nchi yote na Wahispania Wakristo walianza kuwa na wasiwasi kuhusu Waarabu Waislamu na pia Wayhudi waliokaa nchini. Matso makali yalifuata na dini zote nje ya Ukristo wa kikatoliki zilipigwa marufuku. Waislamu na Wayahudi wengine walikuwa Wakristo lakini wengi waliondoka Hispania na kukimbilia nchi za nje.
Kwa njia hii Wayahudi wenye lugha ya Kihispania walifika katika nchi za Ulaya ya Magharibi na Milki ya Osmani kuanzia Afrika ya Kaskazini hadi Uturuki. Walijenga sinagogi zao wakaendelea kutumia Kihispania chao.
Zamani lugha iliandikwa kwa herufi za Kiebrania lakini nje ya Israeli huandikwa kwa alfabeti ya Kilatini.
Ladino imetunza maneno mengi ya Kihispania cha Kale.
Jumuiya za Wayahudi waliotumia Kiladino ziliathiriwa vibaya sana na maangamizi makuu dhidi ya Wayahudi wa Ulaya mnamo 1941-1945 wengi waliuawa.
Viungo vya Nje
Socolovsky, Jerome. "Lost Language of Ladino Revived in Spain", Morning Edition, National Public Radio, 19 Machi 2007.
| https://sw.wikipedia.org/wiki/Ladino |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
173,
779,
1838,
2043,
2452,
3481,
4358,
4654,
5831,
5991,
6524,
6894,
7792,
8741,
9929,
10348,
11247,
11929,
12888,
13638,
13921,
14173,
14903,
15998,
17249,
18157,
18600,
19658,
20305,
21110,
21511,
21938,
22526,
22967,
24208,
24616,
24689,
25061,
25649,
26379,
26659,
27070,
28095,
28579,
29440,
29900,
30640,
31607,
32112,
32567,
34465,
35263,
36334,
37381,
37776,
38576,
39468,
39944,
41277,
42139,
42672,
44061,
44519,
44867,
45947,
47128,
47651,
48097,
48894,
49860,
50474,
51204,
51990,
53498,
54258,
55008,
55326,
56510,
57667,
58663,
58811,
58970,
59438,
59664,
60007,
60174,
60405,
60542
],
"plaintext_end_byte": [
172,
778,
1837,
2028,
2451,
3457,
4357,
4653,
5803,
5990,
6523,
6893,
7760,
8740,
9928,
10347,
11246,
11928,
12887,
13637,
13920,
14172,
14878,
15997,
17248,
18156,
18599,
19640,
20304,
21109,
21510,
21926,
22525,
22966,
24207,
24615,
24688,
25049,
25648,
26378,
26647,
27068,
28094,
28578,
29439,
29899,
30639,
31606,
32111,
32566,
34464,
35262,
36303,
37380,
37775,
38575,
39467,
39943,
41276,
42124,
42671,
44060,
44518,
44866,
45946,
47127,
47650,
48096,
48893,
49859,
50473,
51203,
51952,
53497,
54257,
55007,
55318,
56498,
57659,
58662,
58796,
58968,
59420,
59663,
59960,
60130,
60382,
60523,
60707
]
} | 존 스튜어트 밀은 언제 사망했나요? | 뉴욕 양키스 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
뉴욕 양키스()는 미국 뉴욕주 뉴욕 브롱크스를 연고지로 하는 프로 야구 팀이다. 메이저 리그 아메리칸 리그 동부 지구 소속이다.
아메리칸 리그 초창기 시절의 8개 프랜차이즈 구단 중의 하나이며, 팀의 기원은 1901년 메릴랜드주 볼티모어에서 설립된 '볼티모어 오리올스'였다.(지금의 볼티모어 오리올스와는 다른 팀임) 1903년 뉴욕으로 연고지를 옮기면서 팀의 명칭을 '뉴욕 하이랜더스'로 바꾸었고 1913년 다시 '뉴욕 양키스'로 변경하였다.[1] 1923년부터 2008년까지 양키스의 홈 구장은 양키 스타디움이었는데, 2009년 시즌부터는 새로운 구장인 뉴 양키 스타디움을 홈 구장으로 사용한다.[2]
양키스는 메이저 리그 우승 27번, 아메리칸 리그 우승 40번을 차지하였는데 북미 프로 스포츠 팀 역사상 이보다 더 많은 우승을 차지한 팀은 없으며, 근접한 기록은 1999년 24번째 '스탠리 컵'을 들어올린 몬트리올 캐내디언스이다. 양키스는 매년 스토브리그에서 우수한 선수들을 싹쓸이 할 정도의 막강한 자금력을 가지고 있고, 미 경제전문지 포브스가 발표한 2015년 메이저 리그 구단가치 평가에서 양키스의 가치가 32억 달러에 이르는 것으로 발표되었다. 이는 2위 로스앤젤레스 다저스의 24억 달러보다 많은 수치이며 2015년 전 세계 프로 스포츠 구단의 브랜드 가치에서는 프리미어리그의 맨체스터 유나이티드를 제치고 1위에 올랐다. 2002년에는 팀을 뒷받침하면서 미디어 범위를 확장하기 위해 양키스 전용의 텔레비전 채널 YES 네트워크를 출범시켰다. 명칭상 중국어로는 紐約洋基라는 한자로 쓴다.
2013년 5월 맨체스터 시티 FC와 공동으로 투자해서 창단한 미국 프로축구 메이저 리그 사커 (MLS)의 20번째 신생 구단인 뉴욕 시티 FC의 구단주이다.
역사
창단
1900년 말에, 웨스턴 리그의 수장 밴 존슨(Ban Johnson)은 동부의 세 도시를 추가해 리그를 아메리칸 리그로 재조직했다. 뉴욕에 연고를 둔 팀을 추가하려던 계획은 내셔널 리그의 뉴욕 자이언츠의 정치적 압력으로 무산되었고, 대신에 메릴랜드주의 볼티모어에 팀을 창설하게 되었으며 별칭은 오리올스가 되었다.
존 맥그로(John McGraw)가 감독이 되어 1901년부터 경기를 갖게 되었지만, 1902년 시즌 중 리그 회장인 존슨이 경기장 내에서의 거친 플레이에 대한 통제를 강화하자, 맥그로는 이에 대해 불만을 갖고 비밀리에 뉴욕 자이언츠로 자리를 옮겼다. 자이언츠는 AL이 개입할 때까지, 맥그로를 통해 오리올스의 지배지분을 확보해 선수들을 유출했다. 1903년 1월, 분쟁해결과 공존을 위한, 이른바 "평화협상"이 개최되었는데, 존슨이 요구한 AL 팀의 뉴욕 입성은 투표에 부친 결과 16개의 메이저 리그 구단주 중에서 자이언츠의 존 T. 브러쉬(John T. Brush)를 제외한 나머지 15개 구단의 찬성을 얻어 승인되었다.[3] 오리올스의 새 구단주인 프랭크 J. 파렐(Frank J. Farrell) 과 윌리엄 S. 데버리(William S. Devery)는 자이언츠의 방해를 받지 않는 위치에 새 구장을 건립하여 뉴욕으로 이전했다.
뉴욕으로의 이동
뉴욕으로 연고지를 옮긴 뒤의 첫 근거지는, 맨해튼 섬에서 가장 높은 지대 중의 하나인 165번가와 브로드웨이의 모퉁이에 세워졌다. 구장이 고지대(High Land)에 있다는 것과, 회장의 이름이 조셉 고든 (Joseph Gordon) 이라는 것에서, 사람들은 영국 보병 부대의 명칭인 고든 하이랜더스(The Gordon Highlanders)를 떠올렸고, 여기에서 하이랜더스라는 이름이 탄생했다. 언론과 사람들에게서 널리 불리던 이 명칭이 공식적으로 채택됐는지에 대한 증거는 없다. 유니폼에는 검은색의 N과 Y만이 있었을 뿐이다. 힐탑 파크(Hilltop Park)도 정식 명칭은 '아메리칸 리그 파크'였으나 근처의 폴로 그라운드보다 높은 데 있는데다 팀 이름도 하이랜더스로 불리자 사람들이 붙인 별명이었다.
하이랜더스는 1904년과 1906년, 1910년에 리그 2위에 오르기도 했으나, 처음 15년 대부분의 기간은 최하위권을 맴돌았다. 더욱이 구단 운영상의 문제점과 1루수 헐 체이스 등이 연루된 승부 조작 소문 등이 팀에 악영향을 미쳤다.
하이랜더스가 페넌트레이스 우승에 가장 가까이 다가간 때는 1904년 시즌이었다. 시즌 내내 하이랜더스가 좋은 성적을 거두자 자이언츠의 구단주는 "만약 하이랜더스같은 '마이너급'의 팀이 월드 시리즈에 진출한다면 시합을 하지 않겠다" 라고 공언하기도 했다. 아메리칸 리그의 우승 팀을 결정하기 위한 최종전에서 하이랜더스와 보스턴 아메리칸즈(1908년에 레드삭스로 개명)가 만났고, 하이랜더스의 투수 잭 체스브로의 끝내기 폭투로 아메리칸즈가 우승했다. 그럼에도 불구하고 자이언츠는 시합을 거부해, 그 해의 월드시리즈는 무산되고 말았다. 월드시리즈가 열리지 않은 해는 이때와 선수노조가 파업한 1994년의 2회뿐이다. 하지만 언론의 신랄한 비판을 받은 자이언츠의 구단주는 월드시리즈 제도의 기본 골격을 정력적으로 만들기 시작했다. 덧붙여 이 시합 이후 100년 동안 레드삭스는 리그 우승을 결정하는 시합[4] 에서 양키스를 한 번도 이기지 못하게 된다.
폴로 그라운드 시대
섬네일|240px|right|양키스가 1913년부터 1922년까지 홈구장으로 썼던 폴로 그라운드. 자이언츠와 같이 홈구장으로 사용했다.
1911년에 자이언츠의 홈 구장 폴로 그라운드에 화재가 일어나서 구장 사용이 어려울 때, 하이랜더스가 힐탑 파크를 제공함으로써 두 팀 간에 화해 분위기가 생겼고, 그 결과 1913년에 폴로 그라운드가 새로 지어지자 하이랜더스는 홈 구장을 옮겨 뉴욕 자이언츠와 공동으로 쓰게 되었다. 저지대로 옮겨온 이후 "하이랜더스 (Highlanders)"라는 명칭이 맞지 않게 되자 언론들은 대체할 다른 명칭을 찾게 되었다.
1904년 초 뉴욕 프레스의 스포츠국장 짐 프라이스가 양키스(Yankees 혹은 Yanks)라는 별명을 만들어 붙였는데 헤드라인에 쓰기 편하다는 이유였다. 이 단어는 점차 널리 퍼지면서 1910년대에는 이미 많은 언론들이 쓰고 있었다. 결국 언론들이 붙여준 애칭은 공식적인 팀 명칭이 되었다.
한편 1910년대 중반에, 공동 구단주인 파렐(Farrell)과 데버리(Devery)는 사이가 나빠진데다, 둘 다 자금부족에 빠져 있었기 때문에 구단을 계속 소유하기 어렵게 되었다. 1915년 초에, 구단은 제이콥 루퍼트(Jacob Ruppert) 대령[5] 과 틸링해스트 롬므디으 휴스턴(Tillinghast L'Hommedieu Huston) 대위에게 125만 달러의 금액으로 매각되었다.[6] "루퍼트 양조장"의 상속인으로, 8년간(1899년~1907년) 연방 하원 의원이기도 했던 루퍼트는, 나중에 "45만 달러로, 두드러진 재능을 가진 선수도 없고, 평판도 별로 없는, 게다가 자기 구장조차 없는 구단을 샀다"라고 말했다. 하지만 루퍼트는 재력과 의지를 갖춘 구단주였고, 팀은 루퍼트가 생각해 본 적도 없는 전성시기를 맞게 되었다.
베이브 루스와 루 게릭
구단 인수 후에 몇 년 동안 새 구단주 루퍼트는 적극적인 투자를 펼쳐 선수단 연봉을 높은 수준으로 유지하고 타팀의 좋은 선수들을 영입했다. 영입 선수 중 팀 전력에 도움이 되는 선수는 대부분 보스턴 레드삭스 출신이었다. 당시 레드삭스의 구단주는 브로드웨이 공연 제작에 더 신경을 쓰던 해리 프레이지(Harry Frazee)였는데, 공연 제작 비용에다 팀을 인수할 때의 대출로 자금압박이 심했기 때문에 야구단을 제대로 운영하기보다는 선수들을 팔아 자금을 융통하려고 했다. 양키스는 그 덕분에 1919년부터 1922년까지 레드삭스로부터 웨이트 호이트(Waite Hoyt), 해리 하퍼(Harry Harper), 월리 샹(Wally Schang), 마이크 맥넬리(Mike McNally), 에버렛 스콧(Everett Scott), 조 듀간(Joe Dugan), 허브 페노크(Herb Pennock) 등을 영입할 수 있었다.
그러나 그중 최고의 선수는 1920년 1월에 영입된, 투수에서 야수로 변한 베이브 루스였다. 이미 최고 연봉을 받고 있음에도 불구하고 더 많은 금액을 요구하는 바람에 감당할 의사가 없던 레드삭스는 그를 양키스로 트레이드 해버렸다. 전년도에 시즌 최다 홈런 기록(29개)을 경신했음에도 불구하고 말이다. 양키스가 영입 비용으로 지출한 금액은 12만 5천 달러의 현금과 레드삭스의 구장 펜웨이 파크를 저당잡은 빚 30만 달러였다. 레드삭스에게는 또다른 노림수가 있었는데, 양키스에 좋은 선수를 보내 그들의 실력이 올라가면 보스턴과 라이벌 관계가 만들어질 것이고, 이로 인해 서로의 흥행수입이 높아지기를 기대하는 것이었다. 하지만 그 대가는 너무나 가혹해서, 베이브 루스 트레이드 이후 84년 동안 레드삭스는 월드시리즈 챔피언이 될 수 없었고, 밤비노의 저주 때문이라는 말은 보스턴 레드삭스를 옭아맸다. 2004년 월드시리즈에서 우승한 후에야 비로소 '저주는 없다'라고 말할 수 있었다.
그밖에 팀에 영입된 중요한 사람들로는 밀러 허긴스(Miller Huggins) 감독과 에드 배로우(Ed Barrow) 단장이다. 허긴스 감독은, 1919년에 공동 구단주였던 휴스턴이 유럽에 출장간 사이에 루퍼트가 영입했는데, 이때문에 두 오너의 사이에 반목이 생겼고, 결국 1923년에 루퍼트는 휴스턴의 지분을 매입해 단독 구단주가 되었다.
배로우는 1918년부터 레드삭스의 감독을 하고 있다가 1920년 시즌 종료 후에 양키스로 옮겨와 단장 겸 구단 대표로 25년 동안 근무하면서 팀을 성공적으로 이끌었다. 배로는 보스턴 감독 시절 루스에게 타자 전환을 권유했던 장본인으로서 보스턴 선수들을 누구보다 잘 알고 있었기 때문에 보스턴에서 선수들을 데려올 때 중요한 역할을 했다. 처음에는 '비지니스 매니저'였으나 이후 '제너럴 매니저'로 선수 계약, 트레이드, 티켓 가격 책정 등 구단 운영의 전권을 부여받았다. 사업가 출신이었던 배로는 선수들에게 백넘버를 달게 했고, 처음으로 관중이 파울볼을 가져갈 수 있게 했다.[7] 조지 와이스(George Weiss)와 함께 양키스의 팜 제도를 정비한 것도 그의 큰 업적 중의 하나이다.
루스가 때려낸 폭발적인 수의 홈런은 대중적인 인기를 얻게 되고, 급기야 세들어 살고 있던 폴로 그라운드의 주인인 뉴욕 자이언츠 팬마저 흡수하기 시작했다.[8] 그러던 중 1921년에 월드시리즈에 진출해 자이언츠를 상대하게 되자, 자이언츠는 1922년 시즌 후에는 폴로 그라운드에서 나가 달라는 압력을 가했다. 자이언츠의 맥그로 감독은 "그들은 퀸즈(Queens)[9] 같은, 어딘가 먼 곳에 가 버리는 것이 좋겠어."라고 말했지만, 짓궂게도 양키스의 새 홈구장은 폴로 그라운드에서 할렘 강(Harlem River) 건너편에 건설되었다.
1923년 지어진 양키 스타디움은 당시로서는 최첨단의 시멘트 공법으로 지어졌는데, 3층 건물로는 사상 처음이었고, 수용인원은 5만 8천명이라는 엄청난 숫자였다. 개장 첫 경기에서 루스는 보기 좋게 홈런을 쳤고, 이 시즌에 루스가 기록한 타율 0.393은 지금도 양키스의 팀 기록이며[10], 루스의 유일한 MVP 시즌이다. "루스가 지은 구장"이라는 칭호에 걸맞은 시작이었다.
지난 2년 간의 월드시리즈에서 뉴욕 자이언츠에게 두 번 다 졌던 양키스는 1923년에 다시 만난 자이언츠에게 승리를 거둬 첫 월드시리즈 우승을 했다. 이전까지 자이언츠는 압도적인 강팀으로 뉴욕을 대표하는 구단으로 군림했으나, 이 시리즈를 계기로 양키스에게 그 역할을 넘겨주고는 밀려나다 결국 1950년대에 샌프란시스코로 이전할 수밖에 없게 되었다.
1927년, 얼 콤스, 마크 쾨니히, 베이브 루스, 루 게릭, 밥 뮤젤, 토니 라제리가 포진한, 이른바 살인 타선(Murderers' Row)을 구축했고, 아메리칸 리그 기록인 110승을 거두며 (44패) 월드시리즈에서 피츠버그 파이리츠를 스윕하는 막강한 위용을 자랑해 야구 역사상 최강의 팀 중 하나로 꼽히고 있다. (1939년, 1961년, 그리고 1998년 시즌의 양키스가 최고 팀이라는 견해도 있다.)[11] 베이브 루스는 홈런 60개를 때려내며 34년간 굳건히 자리를 지키는 단일시즌 홈런 기록을 세웠고, 루 게릭은 0.373의 타율과 47홈런, 175타점으로 베이브 루스가 1927년에 기록한 171타점 기록을 경신했다.
1928년에도 월드시리즈에 올라 세인트루이스 카디널스를 4-0으로 물리치면서 2년 연속 월드시리즈 우승을 거머줬으나 이후 3년간은 필라델피아 애슬레틱스가 아메리칸 리그 우승을 차지하는 동안 밀려 있어야 했다.
1929년 밀러 허긴스 감독은 시즌 종료 직전 왼쪽 눈 아래의 혹을 제거하기 위해 병원에 입원했다가 5일 만에 패혈증으로 사망했다. 아트 플레처와 밥 쇼키가 그 뒤를 이었으나 1년씩만 맡았다.
1931년, 조 매카시 감독이 부임하면서 양키스는 아메리칸 리그 챔피언에 오르더니, 이듬해 1932년 월드시리즈에서 시카고 컵스를 스윕하며 4년만의 우승을 이뤄냈다. 이로써 월드시리즈에서 12연속 경기 승리를 하게 됐는데(1927년 1~4차전, 1928년 1~4차전, 1932년 1~4차전), 특히 리글리 필드에서 벌어진 3차전은 베이브 루스의 가장 유명한 홈런인 예고 홈런[12] 이 터지면서 화제를 더했다. 양키스의 첫 전성기를 이끈 루스는 1934년 시즌 후 내셔널 리그에 새로 가입한 보스턴 브레이브스로 이적하면서 더 이상 월드시리즈에 진출하지 못했다.
세상을 뒤흔든 조
루스가 이적하면서 마침내 게릭이 양키스의 주인공이 될 수 있었으나, "Joltin' Joe"[13] 조 디마지오라는 새로운 주인공이 등장하면서, 게릭의 독주는 오래 가지 않았다. 이 무렵 팀은 1936년부터 1939년까지 4년 연속 월드시리즈 우승이라는 전례없는 기록을 세우면서 또 다른 전설을 써내려갔으나, 1939년 게릭은 나중에 "루 게릭 병"이라고 불리게 되는 근위축성 측색 경화증을 앓게 되면서 4월 30일의 경기를 마지막으로 은퇴하게 되었다. 구단은 1939년 7월 4일을 '루 게릭의 날'로 선포하고 그의 등번호 4번을 메이저 리그 야구 사상 최초로 영구 결번으로 지정했다. 이날 행사에서 게릭은 스스로를 '세상에서 가장 운이 좋은 사람'라고 지칭하는 유명한 고별사를 남겼고[14], 2년 후 사망했다. 그리고 24년 동안 구단주로 있으면서 양키스를 반석 위에 올려놓은 루퍼트도 1939년 1월 13일 세상을 떠났고, 양키스는 그의 유산으로 남겨졌다.
2차 대전 이전의 황금시대의 마지막 해로 불리는 1941년, 전 미국은 메이저 리그의 두 가지 이벤트로 떠들썩했다. 레드삭스의 테드 윌리엄스는 4할 타율이라는 목표에 도전하고 있었고, 디마지오는 연속경기 안타 기록에 도전하고 있었다. 디마지오의 연속경기 안타 기록은 56경기가 되었고, 이 기록은 현재까지 깨지지 않고 있다. 한편, 디마지오가 기록을 세운 그 해, 양키스는 브루클린 다저스를 만나 시리즈 전적 4-1로 우승을 달성했지만, 시즌이 끝난 후 12월 7일 일본의 진주만 공습으로 메이저 리그는 디마지오를 포함해 리그에서 활동하던 많은 스타 선수들을 입대시켜야 했다. 팀은 그 와중에도 1942년 월드시리즈에 진출해서 세인트루이스 카디널스에 4-1로 패배했지만, 이듬해 월드시리즈에서는 똑같은 전적으로 되갚아주었다.1945년, 루퍼트의 유산이었던 양키스는 건설업계의 거물 델 웹(Del Webb)과 동업자 댄 타핑(Dan Topping), 래리 맥파일(Larry MacPhail)에게 280만 달러의 금액으로 매각됐다. 다만, 맥파일은 1947년에 자신의 지분을 매각하였다.
1946년, 배로가 24년 간의 단장 생활을 끝내면서 조지 와이스를 후임으로 결정했는데, 와이스는 배로와 함께 키우던 팜을 양키스의 자금력에다 자신의 스카웃-선수개발 조직으로 더욱더 풍요롭게 만들었다. 최초로 팜 시스템을 만든 세인트루이스보다 더 나은 시스템이었다. 그 외에 케이시 스텡걸의 감독 발탁, 로저 메리스의 트레이드도 그의 작품이었다.[7] 1943년 월드시리즈 우승 후 몇 년간 팀이 침체에 빠지자, 매카시는 1946년 시즌 도중 해임을 당하고 빌 디키, 조니 눈(Johnny Neun)이 남은 시즌을 임시 감독으로 이끌어나갔다. 1947년 벅 해리스(Bucky Harris)가 지휘봉을 잡고 팀을 정비한 뒤 월드시리즈에 진출해 브루클린 다저스와 7차전까지 가는 혈전 끝에 월드시리즈 우승을 차지했다.
전 시즌의 월드시리즈 우승, 그리고 1948년 시즌에도 1위 클리블랜드 인디언스에게 3게임 뒤진 성적을 기록하고 있음에도 불구하고 해리스는 감독자리에서 물러났고, 후임으로 케이시 스텡걸이 왔다. 그 전까지 스텡걸은 '광대짓이나 하면서 약팀 감독이나 한다'라는 평판을 들었으나, 양키스 감독이 되면서 명장 반열에 올라서게 된다.
1949년 정규시즌 마지막 두 경기를 남기고, 보스턴 레드삭스는 양키스를 1경기 앞선 1위를 하고 있어 반타작만 해도 지구 우승을 차지할 수 있었다. 10월 1일의 첫 경기에서 양키스는 조니 린델(Johnny Lindell)의 홈런으로 5-4 승리를 거뒀고, 10월 2일의 마지막 경기에서 15연속 선발승을 따낸 레드삭스의 엘리스 킨더(Ellis Kinder)를 무너뜨리면서 5-3의 승리를 거뒀다. 이 극적인 2연승으로 양키스는 아메리칸 리그 우승을 달성하고, 월드시리즈에서 브루클린 다저스를 4-1로 물리쳤다. 이 시즌 이후 양키스와 레드삭스는 라이벌 관계가 앙숙으로 변하게 되어 현재까지 내려오고 있다. 그러나 이 시즌부터 디마지오의 성적은 하락하기 시작해 1951년 은퇴했고, 디마지오가 은퇴하던 때에 '오클라호마의 아이'로 불렸던 미키 맨틀이 데뷔해 디마지오의 빈자리를 메꾸며 양키스의 주축으로 자리잡았다.
스텡걸 사단
조 매카시 감독의 지휘 하에 좋은 성적을 거뒀던 양키스는, 케이시 스텡걸 감독 밑에서도 좋은 성적을 거뒀다. 중견수 미키 맨틀과 투수 화이티 포드, 포수 요기 베라가 팀의 주축을 이룬 가운데 스텡걸이 있던 12 시즌 동안 10번의 아메리칸 리그 챔피언과 7번의 월드시리즈 우승을 거뒀다. 그중에는 1949년에서 1953년까지의 전무후무한 5년 연속 월드시리즈 제패 기록도 포함되어 있다. 스텡걸은 팀과 스스로를 매스컴에 홍보하는 데 달인이어서 1955년에는 타임지의 표지를 장식하기도 했다.
1954년 100승을 넘겼지만 인디언스가 아메리칸 리그 신기록인 111승을 거두는 바람에 2위로 밀려났고, 1955년에는 월드시리즈에서 5번 만나 모두 이겼던 다저스를 상대로 패배하고 말았다. 하지만 양키스는 여전히 강팀이었고, 1956년 월드시리즈 5차전이 벌어진 10월 8일, 투수 돈 라슨이 월드시리즈 역사상 유일의 퍼펙트 게임을 기록했다.[15] 포스트 시즌에서 퍼펙트 게임은커녕 노히트 노런조차 없던 상태였고, 이후에도 2010년 로이 할러데이가 노히트 노런[16] 을 할 때까지 54년 동안은 그 기록 하나뿐이었다. 그 경기의 여세를 몰아 양키스는 3년 만에 다시 우승컵을 되찾아왔고 라슨은 월드시리즈 MVP에 뽑혔다.
1957년 월드시리즈에서 밀워키 브레이브스에게 패배했다. 이어서 뉴욕 자이언츠와 브루클린 다저스가 서부 캘리포니아주로 떠나면서 뉴욕에는 양키스 홀로 남게 되었다. 1958년 시즌 양키스는 월드시리즈에서 다시 만난 브레이브스를 상대로 복수극을 펼쳤는데 1승 3패의 열세를 뒤집은 극적인 승리였다.
1950년대의 10년 동안 양키스는 6번의 월드시리즈 챔피언에 올랐고 (1950년 ~ 1953년, 1956년, 1958년), 8번의 아메리칸 리그 챔피언에 올랐다. (월드시리즈 제패 기간에 1955년과 1957년 추가) 맨틀, 포드, 베라, 엘스턴 하워드[17] 가 이끌던 팀에 로저 메리스가 합류하면서 1950년대의 영광을 1960년대에도 재현할 준비를 마쳤다.
M&M 타선
캔자스시티 애슬레틱스의 구단주 아놀드 존슨(Arnold Johnson)은 양키스의 공동 구단주 델 웹과 댄 타핑의 오래 거래했던 관계 때문인지, 젊은 선수들을 양키스로 보내고 현금이나 나이든 노장을 데려오는 트레이드를 하곤 했다. 양키스한테 심하게 유리한 이런 트레이드들 때문에 애슬레틱스는 '양키스의 메이저 리그 팜'이라는 비난을 받았는데, 이런 상태는 애슬레틱스가 필라델피아에서 캔자스시티로 옮기기 전까지 거의 20년 동안 계속되었다.
1960년 찰스 핀리(Charles O. Finley)가 애슬레틱스를 인수하면서 비로소 이런 거래는 중지되었지만, 이미 양키스는 20대 초반의 젊은 외야수 로저 메리스를 포함한 유망주를 빼낸 뒤였다. 1960년 매리스는 아메리칸 리그 장타율 1위와 타점 1위를 차지하고, 미키 맨틀에 이어 홈런 2위를 기록하면서 골드 글러브와 아메리칸 리그 MVP로 뽑혔다.
1961년은 M&M포의 홈런 경쟁과 월드시리즈 우승으로 양키스 역사상 가장 인상깊은 해 중의 하나가 되었다. 여름까지 맨틀과 매리스는 빠른 속도로 홈런을 때려내면서 베이브 루스의 시즌 최다 홈런 기록인 60홈런에 도전하고 있었다. 하지만 맨틀이 엉덩이에 심각한 부상으로 레이스에서 이탈하면서 매리스 혼자 독주하게 되었다. 162경기의 마지막 경기를 치르게 된 10월 1일 매리스는 61홈런을 때려내면서 루스의 기록을 경신했으나, 커미셔너인 포드 프릭(Ford Frick)이 154 경기의 루스의 기록과 162경기의 매리스 기록을 별도로 기록하겠다고 선언해버렸다. 30년 동안 두 기록은 병기되었고, 그런 후에야 매리스의 기록은 1998년 마크 맥과이어가 70홈런으로 경신할 때까지 단독 기록으로 남았다. 메이저 리그 기록은 경신되었지만, 여전히 아메리칸 리그 기록이기도 하다. 홈런 기록과 함께 팀은 240홈런의 무서운 공격력을 보였고, 109승 53승을 기록하면서 아메리칸 리그 챔피언으로 진출한 월드시리즈에서 신시네티 레즈를 물리치고 우승했다.
1962년, 양키스 홀로 있던 뉴욕에 내셔널 리그의 뉴욕 메츠가 퀸즈에 새롭게 자리를 잡았다. 양키스가 1962년 월드시리즈에서 샌프란시스코 자이언츠와 7차전까지 가는 혈전 끝에 승리하면서, 2년 연속이자, 지난 16년간 10번째인 월드시리즈를 우승을 거둔 반면에 신생팀인 메츠는 120패의 불명예 기록을 세웠다.
1963년 LA 다저스와 월드시리즈에서 만났으나 패배했다.
이듬해 요기 베라는 선수에서 은퇴하자 마자 감독이 되었고, 노쇠한 양키스를 이끌고 팀을 월드시리즈에 5년 연속 진출시켰다. 하지만 세인트루이스 카디널스에게 7차전 끝에 패배하고 말았고, 이후 1976년 월드시리즈 전까지는 한 번도 진출하지 못하는 침체기에 들어섰다.
CBS 시대
1964년 시즌이 끝난 후, CBS는 공동 구단주 타핑과 웹으로부터 1,120만 달러의 금액으로 80%의 지분을 인수했다.[18] 새 구단주가 등장한 그때, 메이저 리그에 아마추어 드래프트가 도입되었고, 양키스는 더 이상 유망주들을 싹쓸이하기 힘들어지는 변화가 일어났다. 이때문에 팀은 급격한 하락세를 겪기 시작했는데, 1965년의 경우 40년 만에 순위가 하위권으로 떨어져 버렸다. (10팀 중 6위) 그 해가 끝나자 웹은 10%의 지분을 추가로 CBS에게 팔아버렸다.
1966년 1912년 이후 처음으로 꼴찌로 추락했고, 1967년에도 별반 다르지 않아 뒤에서 2등이었다. 그 뒤로도 그 정도는 아니었지만, 1974년까지는 포스트 시즌 진출과는 거리가 먼 팀으로 보였다. 성적 저하에 대한 다양한 이유가 존재했지만, 가장 큰 원인으로는 왕년의 스타들이 노쇠해지면서 대체할 자원이 있었어야 했는데, 더 이상 지난 50년 동안의 방식으로는 메꿀 수가 없었던 것이다. 타핑과 웹이 구단주였던 20년 동안 15번 월드시리즈에 진출해서 10번을 우승했지만, 그와 대조적으로 CBS가 구단주일 때는 한 번도 월드시리즈에 진출해본 적이 없었다.
그 기간 동안 '양키스의 목소리'라고 불렸던 전설적인 방송인 멜 알렌(Mel Allen)이 스폰서 기업 발렌타인 맥주 회사의 경비절감 정책으로 추정되는 이유로 해고되었고, 2년 뒤 레드 바버(Red Barber)도 잘렸다.
1970년대
클리블랜드에 기반을 둔 선박 제조업자 조지 스타인브레너(1930년 ~ 2010년)가 이끄는 투자 그룹은 1973년 1월 3일, CBS로부터 870만 달러로 양키스를 인수했다. 마이크 버크(Mike Burke)가 이사회 의장으로 4월까지 있었으나 그 해가 가기 전에 스타인브레너가 다른 투자자들로부터 지분을 매입해서 지배 주주가 되었다.
스타인브레너의 주요 목표 중 하나는 1923년에 지어져 1960년대 들어 악화된 양키 스타디움을 보수하는 것이었다. CBS 시절에도 이를 추진한 적이 있으나 수리 기간 동안 사용할 임시 구장으로 뉴욕 메츠의 셰이 스타디움을 사용하는 방안이 거절당하면서 무산되었다. 임시 구장 사용이 여의치 않자 뉴욕을 떠나 뉴저지주의 허드슨 강 건너편에 있는 메도우랜드(Meadowlands)가 검토되었고, 양키스가 떠날지도 모른다는 소식에 뉴욕의 여론은 들끓었다. 결국 1972년 중반 뉴욕 시장인 존 린드세이(John Lindsay)가 개입해 중재안을 내놓았다. 중재안은 뉴욕 시에서 스타디움을 매입해 2년 간 광범위한 재단장을 하기로 하고, 시 소유인 셰이 스타디움을 2년 간 양키스도 함께 사용할 수 있게 한다는 것이었다. 재단장을 마친 구장은 현대식 느낌을 주었고, 몇 군데의 좌석은 재배치되었다.
1974년 시즌 후, 스타인브레너는 오클랜드의 스타 선수 캣피쉬 헌터를 335만 달러에 영입해, 현대식 자유계약제도(Free Agency)가 탄생하는데 일조를 했다. 1975년 시즌 중반, 1950년대 전성기의 주역이었던 전 2루수 빌리 마틴을 감독으로 데려왔다. 마틴의 지휘 하에 양키스는 1976년 월드시리즈에 12년 만에 올라갔으나 '빅 레드 머신'이 이끌던 신시네티 레즈에게 패퇴했다.
1976년 시즌이 끝난 후 스타인브레너는 또다시 오클랜드의 스타 선수 레지 잭슨을 직접 영입했다. 하지만 잭슨은 1972년 플레이오프에서 빌리 마틴이 감독으로 있던 디트로이트 타이거스를 패배시키면서 생긴 악연으로 이미 사이가 좋지 않은 상태였던데다, 1977년 시즌 전 스프링 트레이닝에서 팀의 주장인 포수 서먼 먼슨에 대한 부적절한 발언으로 동료들과 사이가 나빠져버렸다. 잭슨과 마틴, 스타인브레너는 잭슨의 5년 계약기간 내내 서로 다퉜고, 스타인브레너는 마틴을 13년 동안 5번 고용했다가 해고했다. 1970년대 후반, 팀 내 불화와 당시 양키스팬들의 극성스러운 소란이 맞물려서 팀과 경기장은 '브롱크스 동물원(Bronx Zoo)'으로 조롱받았다.[19]
이런 소란에도 불구하고 1977년 월드시리즈에 올라가 LA 다저스를 만났고, 잭슨은 자신의 스타성을 유감없이 발휘해 팀을 정상에 올렸다. 6차전의 3홈런을 포함해 4연타수 홈런이었고, 4개의 홈런 모두 각기 다른 투수들을 상대로 때려낸 것이었다. 이런 활약으로 월드시리즈 MVP 수상과 함께 '10월의 사나이(Mr. October)'라는 멋진 별명을 갖게 되었다.[20]
1950년대와 1960년대 초에 양키스가 여러 번의 월드시리즈를 제패하면서 압도적인 전력으로 군림하고 있을 때와는 달리, 1970년대 들어 수렁에서 허우적 댈 때 보스턴 레드삭스가 치고 나가면서 두 팀간의 라이벌 감정이 격해지기 시작했다. 1978년, 시즌 중반 무렵인 7월 14일만 해도 14½ 게임 차로 레드삭스가 앞섰으나, 이후 양키스의 연승행진으로 둘 간의 격차가 줄어들면서 9월 초에 펜웨이 파크에서 예정된 4경기가 매우 중요해졌다. 그리고 양키스는 4경기에서 15-3, 13-2, 7-0, 7-4 의 압도적인 스코어로 모두 승리하며 '보스턴 대학살'로 불리는 역사를 만들었다.
결국 시즌 마지막날, 두 팀은 아메리칸 리그 동부에서 공동 1위로 정규시즌을 마쳤고, 지구 우승을 위한 순위 결정전 추가 경기를 펜웨이 파크에서 치러야 했다. 양키스의 선발투수는 론 기드리였고, 레드삭스는 전 양키스 선수였던 마이크 토레즈(Mike Torrez)로 정했다. 경기 초반 2-0으로 레드삭스가 앞서갔으나, 7회 초 양키스의 유격수 버키 덴트가 토레즈를 상대로 펜웨이 파크의 명물 그린 몬스터 너머의 조명등을 맞추는 대형 3점 홈런을 때려내면서 역전에 성공했고, 이어 서먼 먼슨의 1타점 2루타, 레지 잭슨의 홈런으로 승리를 굳혔다. 레드삭스는 8회 구스 고시지에게 2점을 뽑아내며 1점 차로 맹추격했으나 그것으로 끝이었다. 양키스는 100승으로 3년 연속 아메리칸 리그 동부 지구 우승을 차지했고 기드리는 25승째를 올렸다.
'보스턴 대학살'의 3번째 경기에서 완봉승을 따내고, 순위 결정전에서도 승리투수로 맹활약한 '루이지애나의 번개' 론 기드리는 이 시즌에서 리그 최다인 9개의 완봉승을 포함해 25승 3패, 평균자책점 1.74로 다승과 평균자책에서 1위를 기록했다. 캘리포니아 에인절스의 놀란 라이언의 260 탈삼진만 아니었으면 248 탈삼진의 기드리가 트리플 크라운의 영예를 차지할 수 있었을 것이다.
3년 연속 아메리칸 리그 챔피언십 시리즈(ALCS)에서 만난 캔자스시티 로열스를 물리치고 월드시리즈에 올라가 LA 다저스를 2년 연속으로 만났다. 두 경기를 먼저 내주면서 위기에 빠졌으나 홈에서 치러진 3~5차전 3경기를 모두 이기면서 전세를 뒤집고, LA의 홈에서 벌어진 6차전에서 승리하면서 시리즈 전적 4-2로 22번째 월드시리즈 챔피언이 됐다.
1979년 시즌 전 사이 영 상 수상자였던 스파키 라일이 텍사스 레인저스의 데이브 리게티(Dave Righetti)를 포함한 몇몇 선수와 트레이드 됐고, 투수진을 보강하기 위해 다저스로부터 토미 존을, 미워해 마지 않는 레드삭스로부터 루이스 타이언트(Luis Tiant)를 영입했다. 그리고 시즌 중에 전년도 후반부터 맡아 우승을 시킨 밥 레몬(Bob Lemon) 감독이 빌리 마틴으로 교체되었다.
1970년대의 마지막 해, 양키스에게 비보가 전해졌다. 1979년 8월 2일, 팀의 주장 서먼 먼슨이 자신의 비행기로 착륙 연습을 하다 사고로 죽었던 것이다. 4일 후, 선수단 전원은 저녁에 오리올스와의 경기가 있음에도 불구하고 캔튼으로 날아가 장례식에 참석했다. 마틴은 단호하게 '경기보다 장례식이 더 중요하다'고 주장하면서 경기 시간에 맞춰 제때 되돌아가는 것은 신경쓰지 않았다. 먼슨의 절친으로 추도사를 읽은 바비 머서(Bobby Murcer)는 이날 저녁 미국 전역에 텔레비전 중계된 경기에서 먼슨이 쓰던 배트로 드라마틱한 경기의 주인공이 되었다. 4-0으로 뒤지고 있던 7회에 추격의 3점 홈런을 때려내더니 9회말 끝내기 2타점 안타를 때려냈던 것이다. 먼슨을 추모하는 분위기로 가득했던 경기에 먼슨의 친구의 극적인 활약은 깊은 인상을 남겼다. 다음날 머서는 5타점을 만든 그 배트를 원 소유주의 미망인에게 전달했다. 경기 전에 먼슨의 포수 장비만 남기고 비워진 라커는, 앞면에는 등번호 15번이 붙은 채로 추모의 뜻에 따라 양키 스타디움에 계속 있다가, 새로운 구장이 개장됐을 때 라커의 내용물만 새 박물관으로 옮겨졌다. 15번은 영구 결번으로 지정되었다.
1980년, 팀에 더 많은 변화가 일어났다. 빌리 마틴은 또다시 해고되었고, 딕 하우저(Dick Howser)가 후임이 되었다. 그리고 크리스 챔블리스(Chris Chambliss)는 토론토 블루제이스의 포수 릭 세른(Rick Cerone)과 트레이드 되었다. 잭슨과 사이가 좋지 않던 마틴과 달리, 하우저는 레지 잭슨을 합리적으로 대했고, 이때문인지 잭슨은 생애 처음이자 마지막 3할 타율을 달성하고, 거기에 41홈런을 더해 캔자스시티의 조지 브레트에 이은 MVP 투표 2위를 차지했다. 팀은 103승으로 2위 볼티모어 오리올스보다 3승을 더 많이 거둬 아메리칸 리그 동부 지구 우승을 차지했지만 ALCS에서 로열스에게 스윕당하면서 시즌을 마쳤다.
시즌이 끝난 후 스타인브레너는 데이브 윈필드(Dave Winfield)와 당시로서는 보기 힘든 10년의 초장기 계약을 맺었다. 그리고 하우저 감독을 해임하고 진 마이클(Gene Michael)을 후임으로 앉혔다. 6월부터 8월까지의 선수노조 파업으로 시즌이 분할됐던 1981년, 마이클이 지휘하던 전기리그까지는 아메리칸 리그 동부 지구 선두를 차지했으나, 후반기에는 또다시 밥 레몬으로 바뀌면서 성적이 6위로 급전직하했다. 전후기 1위팀 간에 벌어진 플레이 오프에서 후기리그 1위인 밀워키 브루어스와 디비전 시리즈를 펼쳐 3-2로 간신히 승리했다. ALCS에서는 빌리 마틴이 지휘하는 오클랜드 애슬레틱스를 만나 3게임으로 완파하고 월드시리즈에 진출했다. LA 다저스를 상대로 두 게임을 먼저 이기면서 앞서 나갔으나 이후 4게임을 내리 내주면서 다저스가 1965년 이후 처음으로 우승하는 걸 지켜봐야 했다.
돈 매팅리의 고군분투
1981년 월드시리즈의 패배 이후 1994년까지 포스트 시즌에 오르지 못해, 팀 역사상 1921년 이후로는 가장 오랜 기간 동안 포스트 시즌 진출에 실패한다. 올스타급 1루수 돈 매팅리가 이끌던 양키스는 1980년대에서 가장 많은 승을 올렸으나 월드시리즈에 한 번도 진출 못한 두 번째 팀이 되었다. 이는 비교적 무난한 시즌들을 보냈지만 전력이 집중된 해가 없었다는 걸 뜻한다. 특히 투타의 불균형이 문제가 되었는데, 매팅리와 데이브 윈필드, 리키 헨더슨, 마이크 파글리아룰로(Mike Pagliarulo), 스티브 색스(Steve Sax), 제스 바필드(Jesse Barfield)가 포진한 공격력은 여전히 꾸준한 파워를 자랑했으나 선발투수진들이 받쳐주지 못했다. 70년대 후반부터 투수진의 든든한 축이었던 론 기드리는 1985년에 22승 6패를 올린 후 팔 부상으로 문제가 생기면서 1988년을 끝으로 은퇴할 때까지 하락세를 면치 못했다.
1985년과 1986년 시즌에는 아메리칸 리그 동부 지구 우승을 노려본 적이 있기도 했으나 각각 토론토 블루제이스와 보스턴 레드삭스에 이은 2위만 하는 걸로 그쳤다. 1987년과 1988년 시즌은 두 해 다 시즌 중반까지는 선두를 달리고 있다가 뒷심 부족으로 후반기에 미끄러지면서 각각 4위와 5위에 그쳤다.
1980년대가 끝나가면서 양키스의 보루였던 공격력마저 쇠퇴하면서 팀은 더 깊은 수렁으로 빠져들어갔다. 헨더슨과 파글리아룰로는 1989년 시즌 중반에 다른 팀으로 트레이드됐고, 윈필드와 매팅리 둘 다 등부상을 겪으면서 윈필드는 1989년 시즌을 통째로, 매팅리는 1990년 시즌을 거의 다 날려먹었던 것이다. 유례를 찾기 힘들던 윈필드의 장기계약은 에인절스로 이적하면서 종료되었다. 1989년부터 1992년까지 자유계약 선수와 신인 드래프트에 거액의 자금을 투입했지만 모두들 기대만큼 성장해주지 못했고 팀은 패 기록만 올리고 있었다. 1990년 시즌은 그중 최악으로 1966년 이후 처음으로 꼴찌에 머물렀다.
전력이 약화된 데다 운까지 꼬인 팀의 모습을 상징하는 듯, 1990년 7월 1일 투수 앤디 호킨스(Andy Hawkins)는 시카고 화이트삭스를 상대로 안타 하나 내주지 않고 노히트 경기를 하고 있었으나 타격지원의 부재와 8회말 볼넷과 야수들 실책 3개가 겹치면서 패배의 멍에를 지고 말았다. 특히 2사 만루에서 신인 좌익수 짐 레이리츠(Jim Leyritz)가 플라이볼을 놓치지 않았다면 그대로 무실점으로 이닝을 마칠 수 있었던 것이 뼈아팠다. 노히트 게임을 하고도 패배를 한 투수들이 몇 있지만, 이 경기의 4점 차는 20세기 사상 최다 점수 차이였다. 11일 후, 양키스와 호킨스는 또다시 화이트삭스를 만났으나 이번에는 7회 강우 콜드로 노히트 게임을 당하는, 기막힌 상황을 당하고 말았다.[21]
1990년 시즌 양키스 팬들은, 자신들의 팀이 꼴찌를 하고 레드삭스가 1위인 상황에서, 레드삭스가 양키 스타디움으로 올 때마다 조롱하기 위해 레드삭스의 마지막 월드시리즈 우승 연도인 '1918년!'이라는 구호로 경기장을 떠들썩하게 했다. 거기에다 몇몇은 '밤비노의 저주'를 상징하는 베이브 루스의 사진을 흔들거나 '1918년!'이 쓰여진 티셔츠를 입기도 했다.[22]
1980년대와 1990년대 초반까지 이어진 저조한 성적은 스타인브레너가 커미셔너 페이 빈센트(Fay Vincent)에게 직무정지를 당하면서 변하기 시작했다. 스타인브레너가 데이브 윈필드와 계약할 당시 윈필드 재단에 기부하기로 했던 30만 달러가 아까운 나머지, 윈필드의 뒤를 캐려던 사실이 폭로된 것이었다. 스타인브레너의 간섭이 사라지자 진 마이클 단장과 벅 쇼월터 감독은 비싼 선수 영입보다는 자신들의 팜 시스템에서 재능있는 선수들을 키우겠다는 일관된 목표에 따라 선수영입과 육성 프로그램을 시작할 수 있었고, 그 결과 외야수 버니 윌리엄스, 유격수 데릭 지터, 포수 호르헤 포사다, 투수 앤디 페티트, 마리아노 리베라가 팀의 주축이 되었다. 이러한 시도는 1994년 시즌부터 가시적인 성과가 나타나 아메리칸 리그 전체 선두를 달리고 있었으나 선수노조 파업으로 월드시리즈는 열리지 않았고, 매팅리가 월드시리즈에 나갈 가장 좋은 기회는 아쉽게도 사라지고 말았다. 10월 내내 뉴스 미디어들은 만약 파업이 없었다면 양키스는 어떤 성적을 냈을까 하는 가정을 바탕으로 한 기사들을 싣곤 했다.[23]
1년 뒤 파업으로 예년보다 20일 정도 늦게 시작해 144게임의 단축 시즌에서 와일드 카드로 14년 만에 포스트 시즌 진출에 성공했다. 시애틀 매리너스와의 아메리칸 리그 디비전 시리즈는 명승부로 회자되곤 하는데, 양키스가 먼저 2승을 거뒀으나 이후 3게임을 내리 내주면서 ALCS 진출에 실패했다. 등부상의 통증이 심각해지자 매팅리는 염원하던 월드시리즈 진출을 포기하고 1995년 시즌을 끝으로 은퇴했다. 그의 불운함은 하필이면 양키스가 월드시리즈에 진출한 1981년과 1996년 사이에서만 선수생활을 했다는 것이다. 그가 1년 더 일찍 데뷔했거나 아니면 1년 더 늦게 은퇴를 했다면 그는 양키스의 월드시리즈 멤버가 될 수 있었을텐데 말이다.
왕조 건설
1995년 시즌이 끝나자, 스타인브레너는 쇼월터 감독을 해고하고 조 토리를 후임으로 정했다. 토리는 내셔널 리그에서 감독으로는 그다지 좋은 성적을 못낸 편이었던지라[24] 그의 선임을 조롱하곤 했다. (뉴욕 데일리 뉴스에서는 '멍청한 조'(Clueless Joe)가 헤드라인으로 등장했다.)[25] 그러나 그의 차분한 성품은 팀과 잘 맞는 편이었고, 스타인브레너가 구단주가 된 이후 가장 오래 감독 자리에 있게 된다.
1996년 양키스가 수년 간 팀의 중심이 될 것으로 기대받던 4명의 선수들이(유격수 데릭 지터, 포수 호르헤 포사다, 선발투수 앤디 페티트, 투수 마리아노 리베라) 두각을 드러내기 시작했다. 이 젊은 선수들은 팀에 활력을 불어넣었고 15년 만에 아메리칸 리그 동부 지구 1위에 올랐다. ALDS에서 텍사스 레인저스를 물리치고 ALCS에서 볼티모어 오리올스를 4-1로 물리치고는 대망의 월드시리즈 진출에 성공했다. ALCS 1차전에서 외야의 관중이 타구를 낚아챈 것이 심판의 오심으로 홈런으로 둔갑해 승리가 뒤집힌 1차전은 두고 두고 회자되곤 한다. 월드시리즈 상대는 그렉 매덕스, 톰 글래빈, 존 스몰츠가 54승을 합작한 막강한 투수력의 전년도 챔피언 애틀란타 브레이브스였다. 홈에서 치른 2경기를 모두 내줬으나, 적지에서의 3게임을 내리 이기면서 분위기를 반전시키고 다시 홈에서 벌어진 6차전을 승리함으로써 18년 만에 월드시리즈 챔피언이 되었다. 1997년에는 와일드 카드로 디비전 시리즈에 올랐으나 클리블랜드 인디언스에게 3-2로 아쉽게 패했다. 단장인 밥 왓슨(Bob Watson)이 물러나고 후임으로 브라이언 캐쉬맨(Brian Cashman)이 단장직을 맡게 되었다.
야구 역사상 최고의 팀 중의 하나로 널리 알려진 1998년의 양키스는 정규 시즌에서 114승을 거두며 아메리칸 리그 기록을 세우는 동안 단 48번의 패배만 허용했고, 월드시리즈에서 샌디에이고 파드리스를 4-0으로 스윕해버리는 막강한 전력을 자랑했다. 정규 시즌과 포스트 시즌에서 합작한 125승은 메이저 리그 역사를 통틀어 단일 시즌 기록이었다.
그뿐만이 아니었다. 1998년 5월 17일 데이빗 웰스는 양키 스타디움에서 미네소타 트윈스를 상대로 퍼펙트 게임을 달성했고, 이듬해 7월 18일 데이빗 콘이 '요기 베라의 날'을 축하라도 하듯이 양키 스타디움에서 몬트리올 엑스포스를 상대로 퍼펙트 게임을 재현했다.
1999년 ALCS에서 레드삭스를 물리치고, 월드시리즈에서 애틀란타 브레이브스를 물리치면서 2년 연속 월드시리즈를 제패했다. 이 2시즌 동안 6개의 포스트 시즌 시리즈를 모두 이기면서 (ALDS, ALCS, 월드시리즈) 22승을 하는 동안 패배는 단 3번 뿐이었고, 시리즈 스윕도 4번이나 있을 정도로 포스트 시즌에서 마땅히 상대할 팀이 없었다.
2000년, 양키스는 뉴욕 메츠와 1956년 이후 첫 번째 '지하철 월드시리즈'(Subway Series World Series)를 펼쳤다.[26] 시리즈 전적 4-1로 월드시리즈 3연패를 달성했는데, 3차전에서 지면서 월드시리즈 연승은 14연승으로 마감됐으나(1996년 3~6차전, 1998년 1~4차전, 1999년 1~4차전, 2000년 1~2차전), 기존 팀 기록이었던 12연승은 넘어서는 기록이었다.(1927년, 1928년, 1932년 월드시리즈 모두 1~4차전) 월드시리즈 3연패 기록은 1936년~1939년, 1949년~1953년의 양키스와 1972년~1974년의 오클랜드 애슬레틱스 외에는 없다.
2001년 정규 시즌에서 우승하면서 1921년~1924년의 뉴욕 자이언츠, 그리고 양키스의 '36~'39, '49~'53, '55~'58, '60~'64 팀만이 해낸 정규 시즌 4연패를 달성했다. 그리고 뉴욕에 발생한 9·11 테러의 영향 아래에 있던 포스트 시즌 동안 양키스는 오클랜드를 ALDS에서 물리치고, 116승의 정규시즌 다승 기록을 세운 시애틀 매리너스를 ALCS에서 물리쳤다. 그리고 이 4년의 기간 동안에 펼쳐진 12 개의 포스트 시즌 시리즈 중에서 11연속 시리즈 승리 또한 챙겼다. 하지만 애리조나 다이아몬드백스와의 월드시리즈에서 마리아노 리베라가 7차전의 마무리로 나와 그답지 않게 끝내기 안타를 맞으면서 챔피언 자리를 내놓고 말았다. 월드시리즈 7차전에서 이기고 있다가 9회말에 역전패한 것은 1997년 월드시리즈의 클리블랜드 인디언스 이후 두 번째였다. 그리고 1991년 월드시리즈 후 처음으로 양팀 모두 홈에서는 다 이긴 시리즈이기도 하며, 양키스는 그런 시리즈에서 이기지 못한 첫 아메리칸 리그 팀이기도 했다.
데릭 지터는 시리즈 내내 2할의 타율로 부진에 빠져 있었지만, 4차전에서 김병현에게 끝내기 홈런을 때려낸 덕분에 레지 잭슨이 갖고 있던 '10월의 사나이'와 비교되는 '11월의 사나이'라는 애칭을 얻었다. 911 테러 여파로 월드시리즈가 늦게 열리는 바람에 4차전은 10월 31일에 시작했는데, 티노 마르티네스의 동점 홈런으로 연장전까지 가면서 경기 시간이 자정을 넘겨 11월 1일이 되었기 때문이다.
2002년 시즌을 앞두고 팀이 대대적인 정비 경과 아메리칸 리그에서 가장 좋은 103승 58패의 성적을 거뒀고, 알폰소 소리아노는 39홈런 41도루로 홈런 1개 차이로 40-40 클럽 가입에는 아깝게 실패했으나, 그래도 30-30 클럽 가입은 2루수 사상 최초였다. ALDS에서 애너하임 에인절스를 만나 패배했고, 애너하임은 월드시리즈 우승까지 거머쥐었다.
2003년 양키스는 101승 61패로 다시금 아메리칸 리그 최고 승률을 기록했고, 로저 클레멘스의 300승과 4,000 탈삼진으로 더욱 빛났던 한 해였다. ALCS에서 보스턴 레드삭스를 만나 7차전까지 열전을 펼쳤는데, 라이벌 팀 간의 신경전이 3차전에서 벤치 클리어링으로 폭발하면서 분위기가 과열되더니, 7차전은 양키스가 8회말 극적으로 3점을 따라 붙으면서 연장까지 가는 혈전이 펼쳐졌다. 결국 11회 말에 에런 분의 끝내기 홈런으로 대미를 장식했고, 보스턴 레드삭스는 또다시 '밤비노의 저주'라는 단어를 떠올리지 않을 수 없었다. 월드시리즈에 진출해서 플로리다 말린스와 만났으나 2-4로 패퇴하고 말았다.
2004년 양키스는 역대 최고액으로 텍사스 레인저스와 FA 계약을 맺었던[27] 유격수 알렉스 로드리게스를 계약 기간 도중임에도 불구하고 영입했다. 하지만 팀의 유격수 자리에는 캡틴 데릭 지터가 굳건히 자리를 지키고 있었기 때문에 로드리게스는 3루수로 전환할 수밖에 없었다. ALCS에서 또다시 보스턴 레드삭스를 만났으나, 이번에는 3경기를 먼저 땄음에도 불구하고 4경기를 내리 내주는, 이른바 리버스 스윕의 치욕을 프로야구 사상 처음으로 (북미 프로 스포츠로는 3번째) 당했다. 알렉스 로드리게스는 주루 중에 상대팀 수비수의 글러브를 치는 비신사적인 플레이로 비난을 당하면서 이래 저래 수모를 당한 시리즈였다. 보스턴은 그 기세로 86년 만에 월드시리즈에서 우승하면서 길고 길었던 '밤비노의 저주'와 인연을 끊었다.
2005년, 알렉스 로드리게스는 팀 역사상 1985년 돈 매팅리의 수상 이후 처음이자, 자신의 생애 두 번째 아메리칸 리그 MVP에 선정되었다. 팀은 보스턴 레드삭스와 같은 승률을 기록했으나 두 팀 모두 와일드 카드가 가능한 승률이어서 별도의 순위 결정전을 더 치르지는 않고, 상대 전적이 앞선 양키스가 지구 1위로 결정되고 보스턴은 와일드 카드 팀이 되어 나란히 ALDS에 진출했다. 하지만 로스앤젤레스 에인절스 오브 애너하임에게 3-2로 지면서 ALCS 진출에 실패했다.
2006년에는 정규시즌에서 레드삭스의 홈인 펜웨이 파크에서 벌어진 5연전에서 총 득점 49-26으로 5게임 모두를 싹쓸이 하는 전과를 올렸는데 혹자는 1978년에 이은 '두 번째 보스턴 대학살'이라고도 표현한다.[28] 9년 연속 아메리칸 리그 동부 지구 우승을 했음에도 불구하고 이번에는 디트로이트 타이거스에게 ALDS에서 지게 된다. ALDS가 끝난 후 투수 코리 라이들(Cory Lidle)이 자신의 경비행기를 타고 가다 맨해탄의 아파트와 부딪치는 사고로 사망하는 비극이 발생했다. 그의 죽음은 자신의 경비행기 사고로 죽은 서먼 먼슨의 비극을 다시금 떠올리게 했다.
2007년 6월 18일, 양키스는 사상 최초로 두 명의 중국 선수와 계약하고[29], 중국 기업과 광고 계약을 맺음으로써 중국 시장 개척의 신기원을 열었다.[30] 2007년 그들의 아메리칸 리그 동부 지구 연속 기록은 9에서 멈췄으나 와일드 카드로 ALDS에 진출할 수 있었다. 하지만 클리블랜드 인디언스에게 패하면서 3년 연속 1라운드에서 떨어지는 실패를 맛봤다. 시리즈가 끝난 후 조 토리는 그의 능력에 의구심을 표하는 프런트가 제시한 짧은 기간의 재계약 제의를 거절하고는 내셔널 리그 서부 지구의 LA 다저스 감독으로 자리를 옮겼다. 양키스의 조 토리 시절이 다한 것이다.
조 지라디와 지금의 양키스
조 토리가 떠난 후 양키스는 90년대 후반 팀에서 뛴 적이 있는 전 포수 조 지라디를 감독으로 임명하고 3년 계약을 맺었다.[31]
2008년은 역사가 오래된 구 양키 스타디움에서 치르는 마지막 시즌이었다. 마지막 시즌을 기념하기 위해 2008년 메이저 리그 야구 올스타전이 7월 15일에 양키 스타디움에서 열렸다.[32] 마지막 경기는 9월 21일 볼티모어와 치렀으며 7-3으로 승리했는데 4회말 호세 몰리나가 날린 2점 홈런은 구 양키 스타디움의 마지막 홈런이 되었다.[33] 경기 후 데릭 지터는 관중들에게 한 연설에서, 그들의 성원에 감사하며, 이 경기장을 기억에 담고, 새 양키 스타디움에서의 새로운 기억을 거기에 더해 여러 세대를 거쳐 지속되게 할 것이라고 했다.[34] 그런 후 선수들은 프랭크 시내트라의 노래 '뉴욕, 뉴욕' 소리가 가득한 가운데 경기장을 돌며 관중들에게 박수를 보냈다. 하지만 성적면에서는 선수들의 부상으로 시즌 중간에 여러 번 라인업이 변동했고, 이때문에 14년 만에 플레이오프 진출에 실패했다. 시즌이 끝난 뒤, 마크 테세이라, CC 사바시아, A.J. 버넷과 같은 거물급 자유계약선수를 영입해 팀 전력을 보강하면서도, 이전과는 달리, 조바 챔벌레인이나 필 휴즈 같은 젊은 투수 유망주도 쌓아두는 전략을 원칙으로 삼았다.
2009년 시즌부터 새 양키 스타디움에서 경기를 치렀고, 금세 홈런이 잘 나오는 구장으로 유명해졌다. 5월 14일부터 6월 1일까지는 18경기 연속 무실책 경기로 메이저 리그 기록을 세웠다.[35] 올스타전 휴식 무렵, 양키스는 52승 22패를 기록하고 있었고, 결국 AL 동부 지구 1위를 3년 만에 탈환했다. ALDS에서 트윈스를 3-0으로 물리치고, ALCS에서 에인절스를 4-2로 물리치며 지난 7년 동안 두 번이나 발목을 잡혔던 원한을 풀었다. 월드시리즈서 전년도 챔피언이자 박찬호가 불펜투수로 뛰던 필라델피아 필리스를 상대로 4-2로 무찌르며 그들의 27번째 월드시리즈 타이틀을 쟁취했다.[36]
2010년 시즌은 양키스와 보스턴 간의 라이벌전이 되살아난 시즌으로 특징지을 수 있을 것이다. 양키스와 보스턴은 펜웨이 파크에서 개막전과 시즌 마지막 경기를 치렀는데[37][38] 이건 1950년 이후 처음이다.[39] 6월에는 조 토리가 다저스에 부임한 이래 처음으로 양키스와 맞붙기도 했는데, 양키스가 2승 1패의 전적을 거뒀다.[40] 2010년 올스타전 동안 오랜 기간 양키스의 상징이었던 두 사람이 세상을 떠났다. 아나운서이던 밥 세퍼드가 7월 11일에 죽은 지 이틀 후 구단주 조지 스타인브레너마저 세상을 떴다. 8일 후 또 다른 상징이었던 랠프 후크 전 감독마저 사망했다.
2010년 지구 1위 탬파베이 레이스에 이어 와일드 카드를 획득해 ALDS에서 전년도에 이어 또다시 미네소타 트윈스를 상대로 3-0으로 이겼다. 하지만 ALCS에서 클리프 리를 앞세운 텍사스 레인저스에게 4-2로 패하면서 2010년 시즌은 끝이 났다.
성적
월드시리즈 진출 40번에 27번의 챔피언으로, 월드시리즈가 1903년에 처음 시작된 이래 평균 2.7 시즌마다 진출했고, 4시즌마다 우승을 했다.
우승 횟수 2위는 세인트루이스 카디널스로 11회 우승이지만 1위와의 격차가 크다.
13번의 월드시리즈 실패 또한 메이저 리그에서 최다이다.
월드시리즈 진출 2위는 브루클린 다저스 시절을 포함한 LA 다저스로 18번의 진출로 2위를 차지하고 있다. 18번의 진출 중 11번을 양키스와 만났으며 그중 3번 우승하고, 8번은 양키스에게 패배했다. (전체 우승은 6회)
북미 메이저 스포츠 중에서 양키스의 성적과 근접한 팀은 24번의 스탠리 컵을 차지한 몬트리올 캐내디언스뿐이다.
내셔널 리그 챔피언으로 월드시리즈에 오른 팀 중 휴스턴 애스트로스(2005년)와 콜로라도 로키스(2007년)를 제외하고는 모두 양키스와 월드시리즈에서 맞붙은 적이 있으며, 이건 어느 팀도 범접할 수 없는 기록이다.
2015년까지 팀 통산 10000승 7570패로 승률 0.569로 최고를 기록하고 있다.
팀 별명
영어에서는 Yanks라고 줄여서 쓰기도 한다. 가장 두드러지는 별명으로는 '브롱크스 폭격기' 혹은 간단하게 표현한 '폭격기'다. 그들의 오랜 전통인 강력한 타선은 상대팀 투수진을 초토화시키기 일쑤였던지라 홈 구장 위치와 결합한 그 단어는 잘 어울린다. 그 외 홈에서 입는 유니폼의 세로 줄무늬에서 유래한 '핀스트라이프를 입은 사람들'이라는 별명도 있다. 반대로 양키스에 대한 반감으로 된 별명이 있는데, '악의 제국'이 대표적일 것이다. 보스턴 레드삭스의 회장인 래리 루치노가 2002년 뉴욕 타임즈지와의 인터뷰에서 했던 말인데, 막강한 힘과 때론 상도를 무시하기도 하는 행동들 때문에 싫어하는, 또 두려워 하는 사람들이 비판적인 의견을 낼 때 종종 쓴다. 1970년대 후반 바람 잘 날 없이 떠들썩했던 팀 사정 때문에 붙은 '브롱크스 동물원'이라는 별명은 '망할 양키스'와 함께 양키스를 폄하하는 사람들이 자주 쓴다. 팬들은 이런 표현들도 받아들이는 편이다.
인기
1920년대 이후 다수의 우승과 꾸준한 성적 덕분에 양키스는 예전부터 지금까지 전 세계 최고 인기 구단 중의 하나이다. 그들의 인기는 단순히 뉴욕 지방에 한정되지 않는다. 원정 경기에서도 상대팀의 팬들도 양키스가 적수가 되면 더욱더 관심이 높아지기 때문에 자신들의 팬과 더불어 구름과 같은 관중을 몰고 다닌다. 1920년 시즌 1,289,422명이 폴로 그라운드를 찾으면서 최초로 100만 관중을 돌파했고, 26년 뒤에는 2,265,512명을 기록하며 200만 관중을 돌파했다. 87년 중 83년 동안 관중 동원은 늘 리그 평균을 상회했고 (1990년 ~ 1992년, 그리고 1994년 시즌 제외) 지난 7년 동안은 늘 3백만을 넘었으며 2005년에는 4,090,696으로 스포츠 역사상 홈관중 400만을 넘은 3번째 팀이 되었다.[41] 홈뿐만 아니라 원정에서도 2001년 ~ 2006년까지 늘 원정 관중순위 톱을 달려왔다.
양키스 팬 중에서 가장 유명한 팬은 "Freddy Sez"라는 별명으로 잘 알려진 프레디 슈먼(Freddy Schuman)이다.
영구 결번
양키스는 22개의 등번호를 영구 결번 처리하였다. 양키스는 메이저 리그에서 가장 많은 영구 결번을 가진 구단이다.[42]
이 중, 등번호 42번은 인종 차별을 없애는 데 기여한 브루클린 다저스의 아프리카계 선수 재키 로빈슨을 기리기 위해 1997년 4월 15일 영구 결번처리 되었으나, 영구 결번 처리 이전부터 42번을 등번호로 사용하던 투수 마리아노 리베라 또한 2013년 은퇴 직후 현역 선수로서는 처음으로 영구 결번 처리가 되면서 같은 번호로 영구 결번이 되었다.
비공식 결번
아래의 선수·지도자들의 등번호들은 공식 영구 결번으로 처리된 것은 아니나, 팀에 기여한 것 등을 고려하여 양키스에서 비공식적으로 다른 선수들에게 주지 않고 있다.
#21 폴 오닐 - 신시내티 레즈 출신이지만, 1993년부터 2001년까지 양키스에서 우익수로 활동하였다. 2008년 라트로이 호킨스가 이 등번호를 사용하려 했으나 양키스 팬들의 빈축을 사 결국 22번으로 등번호를 바꾸어 달았다.[43][44]
역대 주요 선수
역대 주요 지도자
밀러 허긴스
조 매카시
케이시 스텡걸
랠프 후크
빌리 마틴
조 토리
조 지라디
에런 분 (현재)
역대 한국인 (한국계 포함) 선수
박찬호 - 투수, 2010년
박효준 - 내야수, 2015년~현재 (현 싱글리그에서 활약 중.)
롭 레프스나이더 (한국명: 김정태) - 내야수, 2015년~2017년
최지만 - 내야수, 2017년
각주
같이 보기
YES 네트워크(en:YES Network)
양키 글로버 엔터프라이지스(en:Yankee Global Enterprises)
뉴욕 시티 FC
외부 링크
분류:1901년 설립
분류:메이저 리그 베이스볼 팀
분류:뉴욕의 야구단
분류:브롱크스의 스포츠
분류:1901년 설립된 스포츠 클럽 | https://ko.wikipedia.org/wiki/%EB%89%B4%EC%9A%95%20%EC%96%91%ED%82%A4%EC%8A%A4 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
495,
1025,
1369,
1552,
1790,
2846,
3418,
3878,
4119,
4592,
4763
],
"plaintext_end_byte": [
494,
1006,
1368,
1518,
1769,
2845,
3417,
3877,
4118,
4579,
4751,
4803
]
} | Milloin ensimmäinen Super Mario peli julkaistiin? | Mario (pelisarja) | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
2
],
"minimal_answers_start_byte": [
1337
],
"minimal_answers_end_byte": [
1341
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Mario on Nintendon menestynein videopelisarja. Sen ensimmäinen osa, Mario Bros., julkaistiin vuonna 1983 pelihalleissa, mutta pelin päähahmo Mario oli nähty jo vuonna 1980 Donkey Kong -nimisessä pelissä. Sarjan ensimmäinen varsinainen konsolipeli Super Mario Bros. on Guinnessin ennätysten kirjan mukaan kautta aikojen myydyin videopeli, ja sarjan pelejä on myyty maailmanlaajuisesti 184 miljoonaa kappaletta [1]. Pelisarjan päähahmo Mario on myös Nintendon virallinen maskotti.
Pelisarja alkoi tasohyppely-sarjana, mutta on jakautunut sen jälkeen useisiin alasarjoihin, kuten roolipeleihin, urheilupeleihin ja party-peleihin. Tunnettuja alanimikkeitä ovat muun muassa Mario Kart, Mario Golf, Mario Tennis, Mario Party ja Paper Mario. Sarjan päähahmoina esiintyvät Marion lisäksi usein Prinsessa Peach ja Bowser. Tasohyppely-peleissä Marion täytyy yleensä pelastaa Prinsessa Peach Bowserin kynsistä. Myös Marion veli Luigi ja hirmulisko Yoshi ovat esiintyneet useissa peleissä.
Universumi
Hahmot
Mario esiintyi ensimmäisen kerran vuonna 1981 Donkey Kong -pelissä nimellä Jumpman. Pelin Yhdysvaltain versiota varten Nintendo of America päätti antaa Jumpmanille uuden nimen silloisen vuokranantajansa Mario Segalin mukaan[2]. Mariosta tuli maailmankuulu, kun hahmo debytoi Nintendon NES-konsolilla vuonna 1985 pelissä Super Mario Bros.
Marion luoja on Nintendon peliguru Shigeru Miyamoto, joka on tuottanut monia Nintendon tunnetuimmista peleistä, kuten The Legend of Zelda ja Pikmin.
Videopelijulkaisut
Tasohyppelyt
Marion ensimmäinen tasohyppelypeli on Super Mario Bros. Marion ensimmäinen 3D-tasohyppely on Super Mario 64. Yleensä Mario pelastaa Prinsessa Peachiä. Jotta Peach pelastuisi Marion pitää päästä tasojen läpi.
Spin-off-pelisarjat
Mario Kart -ajopelisarjassa Mario-pelien hahmot kisaavat keskenään karting-autoilla. Mario Kart eroaa muista ajopeleistä siinä, että se ei pyri simuloimaan tarkasti oikeita autoja, ajo-olosuhteita tai fysiikkaa. Pelaajat ajavat karting-autoillaan rataa ympäri, ja yrittävät päästä ensimmäisenä maaliin. Radan varrelta pelaajat saavat kysymysmerkkilaatikoita rikkomalla erilaisia esineitä, joita voi käyttää puolustautumiseen, hyökkäykseen tai ajokkinsa vauhdin lisäämiseen. Pelit ovat erityisen suosittuja moninpelinä; kaksin- ja nelinpelit, sekä kahdeksan ja jopa 16 pelaajan moninpelit ovat mahdollisia. Sarjan ensimmäinen osa Super Mario Kart julkaistiin vuonna 1992 Super Nintendo Entertainment Systemille. Super Mario Kart aloitti ensimmäisenä kaltaisenaan pelinä ajopelien karting-alagenren. Seuraava osa, Mario Kart 64, julkaistiin vuonna 1996 Nintendo 64:lle. Se on sarjan ensimmäinen 3D-peli ja mahdollistaa neljän pelaajan jaetun ruudun moninpelin. Uusin Mario Kart- peli on Mario Kart 8 Deluxe Nintendo Switch:lle.
Mario Tennis on pelisarja, jossa tennistä pelaavat Mario-pelisarjasta tutut hahmot. Peleissä noudatetaan perinteisiä tennissääntöjä, mutta oman lisäyksensä peliin tuovat Mario-maailmasta tuodut elementit. Tenniskentissä nähdään perinteisiä massa- ja ruohokenttiä, mutta myös pelisarjan hahmoille ominaiset kotikentät ovat edustettuina, esimerkkinä Donkey Kong -teemainen viidakkokenttä. Vastapuolen pelaajia voi sabotoida muun muassa banaanien ja koopakuorien avulla. Uusin Mario Tennis -peli on Mario Tennis Ultra Smash joka julkaistiin 2015 Wii U:lle
Mario Golf on urheilupelisarja, jonka on kehittänyt Camelot Software Planning. Sarjan ensimmäiset osat julkaistiin Nintendo 64:lle ja Game Boy Colorille vuonna 1999. Mario Golf -pelit ovat golfaamista mariomaisella otteella; nurmella pelaaja voi törmätä vaikka Chain Chomppiin tai lyödä pallon warppiputkeen, jolloin voi päästä lähemmäksi reikää. Sarjassa on ilmestynyt golf-pelejä NES:lle, Game Boylle, Nintendo 64:lle ja Nintendo GameCubelle.
Mario Party -sarjan peleissä liikutaan vuorotellen ”pelilaudalla” ja välillä pelataan minipelejä. Jokaisen Mario Party -pelin on kehittänyt Hudson Soft ja julkaissut Nintendo. Ensimmäinen Mario Party -peli julkaistiin vuonna 1999.
Nintendon ja Squaresoftin vuonna 1996 suunnittelema Super Mario RPG: Legend of the Seven Stars oli ensimmäinen Mario-teemainen roolipeli. Roolipelit mahdollistivat Mario-pelien hahmojen ja henkilöiden esittelemisen aiempaa yksityiskohtaisemmin. Vuonna 2003 AlphaDream julkaisi Mario & Luigi: Superstar Sagan, jolle kehitettiin vuonna 2006 jatko-osa Mario & Luigi: Partners in Time ja sille taas kehitettiin vuonna 2009 Mario & Luigi: Bowser’s Inside Story.
Katso myös
Luettelo Mario-peleistä – luettelee kaikki pelit, joissa sarjan päähahmo Mario on esiintynyt, sivuosat, mukaan lukien.
Luettelo Mario-pelisarjan hahmoista
Lähteet
Luokka:Mario
Luokka:Nintendon pelisarjat
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Mario%20%28pelisarja%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
360,
891,
1283,
2315,
2867,
3194,
3971,
4432,
4960,
5769,
6191,
9243,
10068,
10633,
11485,
11991,
12583,
13054,
14106,
14812,
15590,
15911,
16558,
17744,
18237,
18828,
19615,
20695,
21087,
21518,
21913
],
"plaintext_end_byte": [
331,
890,
1254,
2314,
2866,
3169,
3937,
4431,
4959,
5768,
6147,
9197,
10067,
10632,
11484,
11990,
12582,
13053,
14105,
14811,
15589,
15880,
16557,
17743,
18236,
18827,
19614,
20694,
21086,
21517,
21912,
22269
]
} | كم دام الاحتلال العثماني لدولة المجر ؟ | تاريخ المجر | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
المجر دولة جمهورية برلمانية، تقع في وسط أوروبا. وهي من الدول الأعضاء في الإتحاد الأوروبي. ولها تاريخ طويل يمتد لمرحلة ما قبل التاريخ إلى جمهورية المجر الحديثة (بالمجرية: Magyar Köztársaság)
ما قبل التاريخ
من القرن التاسع قبل الميلاد إلى نهاية القرن الرابع الميلادي، كانت بانونيا جزءا من الإمبراطورية الرومانية، بما في ذلك المنطقة التي تعرف اليوم باسم المجر في. وفي وقت لاحق وصل الهون، الذين أسسوا إمبراطورية قوية. بعد حكم الهون سكنت في حوض الكاربات قبائل جرمانية كالقوط، واللومبارديون والآفار[1].
المجريين بقيادة أرباد استقروا في حوض الكاربات منذ عام 895[2][3].ووفقاً لبعض اللغويين فإنهم كانوا يتحدثون اللغة الفنلندية الأوغرية، وهي لغة أورالية موطنها الأصلي في روسيا بين نهر الفولغا وجبال الأورال.[4]
العصور الوسطى
المجر هي واحدة من أقدم البلدان في أوروبا، التي أنشئت في 895، وذلك قبل تقسيم فرنسا وألمانيا أو توحيد الممالك الأنجلوسكسونية. في البداية، كانت إمارة المجر النامية دولة تتألف من شعب أفراده شبه رحل. ومع ذلك أنجزت المجر تحولاً هائلاً، وتحولت إلى دولة مسيحية خلال القرن العاشر. هذه الدولة كانت تعمل بشكل جيد، ولها قوة عسكرية في البلاد تسمح للمجريين بإجراء الغارات والحملات العسكرية على مختلف مناطق أوروبا من القسطنطينية إلى مناطق بعيدة كإسبانيا[5]. في وقت لاحق هزمت المجر في معركة Lechfeld سنة 955 وقد وضعت هذه المعركة حداً لمعظم الحملات المجرية التي كانت تشن على الأراضي الأجنبية.
سلالة أرباد (بالمجرية: Árpád-ház) كانت السلالة الحاكمة لإتحاد القبائل المجرية في القرنين 9 - 10، ومملكة المجر. وسميت السلالة باسم "أرباد"، وهو الأمير الذي كان رئيسا لإتحاد القبائل المجرية عندما احتل المجريون حوض الكاربات سنة 895. وقد حاول الأمير المجري غيزة (Géza) دمج المجر مع الدول المسيحية في أوروبا الغربية..[6]
أصبح ساينت ستيفان الأول (بالمجرية: I. István magyar király) - وهو ابن الأمير غيزة - أول ملكٍ في المجر بعد عراك طويل مع عمه كوباني (Koppány)، وتحولت المجر إلى مملكة كاثوليكية رسولية[7].
مملكة المجر
مملكة المجر هي مملكة غطت منطقة من شرق أوروبا وضمت المناطق الحالية للمجر وسلوفاكيا وترانسيلفانيا وكرواتيا وشمال صربيا وأصبحت أمبراطورية يوم عيد الميلاد لسنة 1000، تحت ملكها ستيفن من أسرة أرباد وتعرضت عام 1241 للغزو المغولي الذي أضعفها وانتهت الأسرة عام 1301، وعاشت فترات متذبذبة من القوة والضعف حتى أواخر القرن الخامس عشر الميلادي. وسيطر العثمانيون على معظمها من أوائل القرن السادس عشر إلى أواخر القرن السابع عشر.
الحروب العثمانية
وبحلول القرن السادس عشر، زادت قوة الدولة العثمانية تدريجيا، فاحتلت العديد من الأراضي في منطقة البلقان. في حين كانت مملكة المجر ضعيفة حيث تعاني من انتفاضات الفلاحين، كما حدثت العديد من الانشقاقات الداخلية بين أفرد طبقة النبلاء في عهد لويس الثاني (1516-1526).
حدثت معركة موهاج في 29 أغسطس 1526 م، وهي معركة وقعت بين الدولة العثمانية والمجر. وكان يقود قوات العثمانيين الخليفة سليمان القانوني أما المجريون فكان يقودهم الملك لويس الثاني. قُدر عدد جنود الجيش العثماني بحوالي 100 ألف جندي وعدد من المدافع و800 سفينة، بينما قدر عدد جنود المجر بحوالي 200 ألف مقاتل.
أدى انتصار العثمانيين في هذه المعركة إلى إحكام سيطرتهم على المجر وفتح عاصمتها بودابست والقضاء على ما كان يعرف باسم مملكة المجر. وقد عانى العثمانيون كثيرا بعد فتح المدينة من غارات المسيحيين المتتالية عليها. مكث سليمان القانوني في المدينة ثلاثة عشر يومًا ينظم شؤونها، وعين جان "زابولي" أمير ترانسلفانيا ملكًا على المجر التي أصبحت تابعة للدولة العثمانية، وعاد السلطان إلى عاصمة بلاده بعد أن دخلت المجر للدولة العثمانية وتقلص نفوذ الملك الإسباني.
حتى هذا اليوم، يعتبر المجريون هزيمتهم في هذه المعركة شؤما عليهم ونقطة سوداء في تاريخهم. على الرغم من انقضاء أكثر من 400 عام إلا أن هناك مثل شائع لدى المجريين «أسوأ من هزيمتنا في موهاكس» ويضرب عند التعرض لحظ سيء.
الحرب العالمية الأولى
كانت الإمبراطورية النمساوية المجرية وألمانيا تشكلان أهم دول المركز في الحرب العالمية الأولى (1914 - 1919). النتائج السلبية للحرب أدت إلى إعلان جمهورية المجر عام 1918 والغراف ميهالي كارولي (Károlyi) رئيساً لها. استطاع الشيوعيين والاشتراكيين الوصول إلى السلطة في العام المقبل ولكنها لم يصمدوا طويلاً، حيث اقتحم الجيش الوطني بقيادة الأدميرال ميكلوس هورثي (Horthy) العاصمة واحتل مقار الحكومة. وقعت هنغاريا اتفاق سلام تريانون في باريس عام 1920، الذي أدى إلى فقدان البلاد 67% من أراضيها و58% من سكانها لصالح الدول المجاورة وخاصة رومانيا وتشيكوسلوفاكيا. هورثي انتخب مستشاراً للدولة في نفس العام (إلى عام 1944). الوضع الاقتصادي الداخلي والعالمي السيء في هذه الحقبة زاد من شعبية اليمينيين في البلاد. دخلت هنغاريا الحرب العالمية الثانية في نهاية عام 1940 إلى جانب دول المحور. ساعدت القوات الألمانية في هجماتها على يوغوسلافيا والاتحاد السوفياتي. لاحقاً حاولت هنغاريا مفاوضة الحلفاء سراً لإنهاء الحرب. احتل الجيش الألماني مواقع عدة حساسة بالبلاد ونصب سياسيين موالين. استولى الجيش الأحمر على هنغاريا عام 1945، بعد معارك طاحنة وخاصة حول العاصمة بودابست، التي سُلمت شبه مُدمرة تماماً في 13 فبراير 1945. بعد ذلك دخلت البلاد في حقبة شيوعية تحت السيطرة السوفييتية إلى عام 1990. إعلان الجمهورية الشعبية في 1949 واندلاع انتفاضة عام 1956 هي أهم أحداث هذه الفترة. الانتفاضة الشعبية أطاحت بالحكومة وشلت البلاد لمدة أسبوعين لحين تدخل القوات السوفييتية وتعيين يانوس كادار (Kádàr) رئيساً للحزب الشيوعي المجري، الذي تمكن في وقت قصير من استعادة زمام الأمور ومحاكمة رموز الانتفاضة. كان كادار أهم شخصية سياسية بالبلاد لمدة 32 عاماً. بدأت عملية الإصلاح السياسي عام 1988 مع بدء انهيار الاتحاد السوفيتي. فاز المنتدى الديمقراطي بقيادة جوزيف انتال (Antall) بانتخابات عام 1990 الحرة. بدأت المجر عام 1990 مفاوضات مع الإتحاد السوفيتي.
الحرب العالمية الثانية
مملكة المجر هي إحدى دول المحور خلال الحرب العالمية الثانية، شاركت القوات المجرية عام 1941 في غزو يوغسلافيا ووغزو الاتحاد السوفييتي، استفادت المجر من علاقتها مع ألمانيا النازية وإيطاليا في الحصول على المزيد من الأراضي من جيرانها في سلوفاكيا ورومانيا ويوغسلافيا، خلال غزو الإتحاد السوفييتي دخلت المجر في المفاوضات سرية للسلام مع الولايات المتحدة والمملكة المتحدة. بعد اكتشاف هتلر للمفاوضات إعتبرها خيانة، فهاجمت القوات الألمانية المجر عام 1944 وإحتلتها.
وعندما بدأت القوات السوفيتية تهدد المجر، وقع ميكلوس هورثي (بالمجرية: Miklós Horthy) هدنة بين المجر وروسيا. لكن قوات الكوماندوس الألمانية اختطفت ابن هورثي بعد فترة وجيزة ،مما إضطره لإلغاء الهدنة مع روسيا. ثم أطيح به من السلطة، في حين أن زعيم الفاشية المجرية فرنك سالاسي (بالمجرية: Ferenc Szálasi) شكل حكومة جديدة بدعم ألماني.
29 أكتوبر، بدأ الجيش الأحمر الهجوم على بدوابست. أكثر من 1,000,000 مقاتل أنقسموا إلى مجموعتين وقاموا بمناورات ثم أسرعوا إلى المدينة. الخطة كانت قطع بودابست عن باقي القوات الألمانية والمجرية. في 7 نوفمبر 1944، دخلت القوات السوفييتية الضاحية الشرقية لبودابست، التي تبعد 20 كيلو مترا عن المدينة القديمة. في 19 ديسمبر، بعد وقف ضروري للعملية، اعاد الجيش الأحمر هجومه من جديد. في 26 ديسمبر، الطريق الذي يربط بودابست بفيينا تم الاستيلاء عليه على يد القوات السوفييتية. وبذلك طوقت المدينة.
ونتيجة للحصار السوفييتي، 33,000 جندي ألماني و37,000 جندي مجري، بالإضافة إلى 800,000 مواطن، أصبحوا محجوزين في بودابست. ورفض قرار الانسحاب، القائد الألماني أدولف هتلر أعلن بأن بودابست مدينة حصنية، ويجب الدفاع عنها حتى سقوط أخر جندي.وأصبح كارل ويلدنبرتش هو المسؤول عن الدفاعات في المدينة.
كانت بودابست هدف أساسي جوزيف ستالين، في اتفاقية يالطة أراد ستالين إظهار قوته أمام تشرشل ووروزفلت. ولذلك، أمر الجنرال روديون مالينوفسكي بالسيطرة على المدينة بأسرع وقت. في 29 ديسمبر 1944، بعث مالينوفسكي مرتين شروط نقاش الاستسلام بشروط. المبعون لم يعودوا بعدها. وأعتبر السوفييت هذا الفعل رفض للمفاوضات وقامت القوات بحصار المدينة.
الهجوم السوفييتي بدأ في الضواحي الشرقية للعاصمة، والدخول من خلال بست، شكل نقطة التحول في تسريع العملية. قامت قوات الدفاع من الالمان والمجر، بإبطاء الاندفاع السوفييتي وتحويله إلى زحف، فقامت بالانسحاب وقللت خطوطها عسى أن تجد الأسبقية في البيئة الجبلية لبودا.
وفي يناير 1945، أطلق الألمان هجوماً مكوناً من ثلاثة اجزاء وعرف هذا الهجوم باسم عملية كونراد. عملية كونراد كانت جهد ألماني-مجري لتخفيف الحصار عن بودابست. وانطلقت العملية (كونراد 1) في 1 يناير، حيث هاجم الفيلق الألماني اس اس بانزر الرابع منطلقا من مدينة تاتا خلال منطقة كثيفة التلال شمال بودابست في جهد لكسر الحصار السوفيتي وبالتزامن مع هذا الهجوم قامت قوات الـ Waffen-SS بضرب غرب بودابست في محاولة لكسب فائدة تكتيكية. في 3 يناير أرسل الأمر السوفيتي أربعة تقسيمات اضافية لملاقاة التهديد.أدى هذا الفعل السوفيتي إلى توقف الهجوم بالقرب من Bicske. في 12 يناير أُجبرت القوات الألمانية على الانسحاب.
في 7 يناير اطلق الألمان عملية كونراد 2. هاجم فيلق ال اس اس بانزر الرابع من Esztergom باتجاة مطار بودابست حاول الالمان الاستيلاء على المطار لتحسين التجهيز الجوي للمدينة. تعثر هذا الهجوم بالقرب من المطار.
في 17 يناير انطلق الجزء الأخير من عملية كونراد - عملية كونراد3. هاجم فيلق ال اس اس بانزر الرابع وفيلق البانزر الثالث من جنوب بودابست وحاول تطويق عشرة تشكيلات سوفيتية. محاولة التطويق بائت بالفشل.
من جهة أخرى حرب المدن في بودابست ازدادت حدتها.وأصبحت التجهيزات عاملا حاسما بسبب خسارة مطار Ferihegy قبيل بدء الحصار في 27 ديسمبر 1944 وحتى 9 يناير 1945. كانت القوات الألمانية قادرة على استخدام بعض الشوارع الرئيسية وكذلك موقف خاص ملاصق لقلعة بودا باعتبارها مناطق لهبوط الطائرات والطائرات الشراعية على الرغم من انها كانت تحت نيران المدفعية السوفيتية المستمر.قبل أن يتجمد نهر الدانوب بعض الإمدادات تمكنت من العبور تحت غطاء الظلام والضباب.
بنهاية الحرب فقدت المجر ما يقارب من 300,000 جندي فيما بلغت أعداد الضحايا من المدنيين حوالي 80,000 قتيل، تعرضت العديد من المدن المجرية للتدمير لاسيما العاصمة بودابست.
الثورة المجرية
وجدت ثورة معادية للسوفيت في المجر، عرفت باسم الثورة المجرية أو الانتفاضة المجرية دامت من 23 أكتوبر إلى 4 نوفمبر 1956. هيأت التغيرات السياسية بعد الستالينية في الإتحاد السوفيتي، والحركات القومية للأحزاب الاشتراكية في أوروبا الشرقية، والاضطراب الاجتماعي بسبب الأحوال الاقتصادية السيئة لعامة المجريين الظروف لظهور انتفاضة شعبية في أكتوبر/تشرين الأول عام 1956.
في عام 1945، أثناء الحرب العالمية الثانية، قدم الروس لتحرير المجر من النازيين، ولكن عندما سيطر الشيوعيون في عام 1949، أصبح التحرير هيمنة، وأصبحت الحكومة المجرية بالكامل تحت السيطرة السوفيتية. توفي الدكتاتوري السوفيتي جوزيف ستالين قبل ثلاثة سنوات من ذلك؛ وفي مارس/آذار 1956، كان نيكيتا خراشتشيف ضد ستالين في كونغرس الحزب العشرين. بقيادة الطلاب والعمّال، بدأت الثورة المجرية التلقائية. شعر السوفييت بأنهم قد يفقدون السيطرة في المجر، لذا أرسلوا إليها دباباتهم وقواتهم. قاوم مقاتلو التحرير المجريين بشدة، ولكنهم انهزموا مع حلول 4 نوفمبر. في عام 1989 مع سقوط حائط برلين، انهار الاتحاد السوفيتي أخيراً. كانت الثورة المجرية من أول الأخطار الصريحة للنظام السوفيتي.
حينما ذهبت القوات السوفيتية إلى بودابست في 24 أكتوبر، حمل المجريون السلاح للدفاع عن النفس. رد ناغي على النداءات المطالبة بإلقاء الأسلحة واستسلم بوعد من العفو. لكن الجماهير المجرية رفضت الثقة بناغي. تظاهروا بأنهم لا يثقون بأحد سوى أنفسهم. في 25 أكتوبر بدأ العمال بإضراب عام.
خلال عدة أيام، تحشد كامل البلاد ضد البيروقراطية الحاكمة والقوات السوفيتية. بدأ العمال المجريون بتنظيم أنفسهم للمحافظة على النظام ولتوزيع المأكل والملبس. المجالس، وهي أجزاء من قوى العمال، كانت مشابهة لتلك التي بنيت من قبل العمال الروس في عام 1917. وقد أبدوا إصرارهم لانهاء الانتهاكات البيروقراطية، والامتيازات، وسوء الإدارة.
تبنى الدستور مجلس عمال بودابست الأعظم في 31 أكتوبر 1956، وهو يصور عمق هذا الكفاح لديمقراطية العمال. يذكر الدستور بأن "المصانع تعود للعمال". مهام مجلس العمال، كما اشترط الدستور، تضمنت التالي: "موافقة وتصديق كل المشاريع التي تتعلق بالاستثمار؛ وإقرار مستويات الأجر الأساسية والطرق التي تقام بها؛ وإقرار كل الأمور التي تتعلق بالعقود والائتمان الأجنبي؛ وتوظيف وإقالة العمال المستخدمين في المشروع؛ وفحص الميزانيات وإقرار استعمال الأرباح".
بخلاف مقولات الحركة الستالينية الدولية حول الثورة المجرية 1956، العمال المجريون لم يطلبوا إعادة الرأسماليين وعلاقات الملكية الرأسمالية. من بين آلاف القرارات التي تبنتها مجالس العمال، لا يوجد قرار يدعو إلى تجريد الجنسية للمصانع والمزارع. العمال المجريون رفضوا الستالينية وجميع الرموز البيروقراطية المشابهة. لكنهم لم يرفضوا جوهر البرنامج الاشتراكي: الرقابة السياسية والاقتصادية للطبقة العاملة تبدى خلال منظمتهم الرسمية الخاصة. منذ البداية حاول ناغي خدمة البيروقراطية السوفيتية والعمال. ولكن انتهى به الأمر بعدم الرضاء من قبل الطرفين. نداءاته المتواصلة إلى العمال لنزع أسلحتهم لم تحظ بأي رد.
ولكن وضع القوة الثنائية التي ظهرت في البلاد لم تسمح بأية من التسويات. عندما أعلن ناغي تحت الضغط الجماهير في 1 نوفمبر انحلال الحزب الستاليني الحاكم وحياد المجر من حلف وارسو، كان ذلك كثيراً على البيروقراطية السوفيتية.
في 4 نوفمبر، بدأ الهجوم الثاني على بودابست. ولكن هذا الوقت، سحبت البيروقراطية السوفيتية قواتها المستعملة في الهجوم الأول لأنهم أصبحوا "مصابين بروح التمرد" ولذا كانوا "عديمي الثقة". عوضاً عن ذلك، جلبت قوات سوفيتية جديدة للمواجهة النهائية.
حينما اقتربت الدبابات السوفيتية، استقالت معظم حكومة ناغي. ناغي ومؤيدوه لجؤوا إلى السفارة اليوغوسلافية. ترك ناغي السفارة اليوغوسلافية بعدما أعطى تأمينات للعبور الآمن، ولكنه اعتقل من قبل الشرطة السرية وقتل بعد سنتين.
لعدة أسابيع، قاوم العمال المجريون أسلحة القوات السوفيتية. نظمت مجالس العمال المقاومة وقامت بهجوم ناجح في 11 ديسمبر، ولكن قوة الدبابات السوفيتية والشرطة السرية اكتسحتا العمال المجريين في النهاية.
مراجع
تصنيف:تاريخ المجر
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%AA%D8%A7%D8%B1%D9%8A%D8%AE%20%D8%A7%D9%84%D9%85%D8%AC%D8%B1 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
501,
1248,
1773,
2037,
2137,
2835,
3384,
4437,
5611,
5986,
6481,
6938,
9268,
9702,
10850,
11219,
12639,
13762,
15193,
16403,
17041,
17574,
17659,
17808,
17957,
18131,
18844,
19413,
21209,
22272,
23696,
24876,
26458,
27960,
29683,
30499,
31727,
32836
],
"plaintext_end_byte": [
500,
1247,
1772,
2036,
2117,
2834,
3382,
4436,
5572,
5974,
6469,
6937,
9183,
9685,
10849,
11218,
12595,
13726,
15192,
16365,
17040,
17556,
17640,
17807,
17956,
18096,
18842,
19412,
21207,
22271,
23695,
24859,
26457,
27958,
29681,
30498,
31638,
32790,
33635
]
} | ماهي الدول المجاورة لي بلغاريا؟ | بلغاريا | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
180
],
"minimal_answers_end_byte": [
349
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
بلغاريا أو جمهورية بلغاريا دولة تقع جنوب شرقي أوروبا مطلة على البحر الأسود من جهته الغربية. تحدها رومانيا شمالاً، وتركيا واليونان جنوبا، وجمهورية صربيا والجبل الأسود وجمهورية مقدونيا غرباً. بمساحة 110,994 كيلومتر مربع (42,855sq mi ) تكون بلغاريا الدولة ال16 من حيث المساحة في أوروبا.
بدأت ثقافات ما قبل التاريخ الاستيطان في أراضي بلغاريا خلال فترة عصر حجري حديث. شهد تاريخها القديم التراقيون وفيما بعد اليونان والإمبراطورية الرومانية. يعود نشوء الدولة البغارية الموحدة إلى تأسيس الإمبراطورية البلغارية الأولى عام 681م، التي حكمت معظم دول البلقان وعملت كمركز ثقافي للسلاف خلال العصور الوسطى. مع سقوط الإمبراطورية البلغارية الثانية عام 1396م، أصبحت مناطقها تحت سيطرت الدولة العثمانية لحولي قرون.
أدت الحرب الروسية العثمانية (1853 - 1856) إلى تشكيل الدولة البلغارية الثالثة. في السنين اللاحقة شهدت بلغاريا عدة نزاعات مع جيرانها، مما دفعها للتحالف مع ألمانيا في الحربين العالميتين الأولى والثانية. في عام 1946م أصبحت بلغاريا دولة أشتراكية حزبية واحدة بقيادة الاتحاد السوفيتي (الكتلة الشرقية).
في ديسمبر 1989 سمح الحزب الشيوعي البلغاري الحاكم بانتخابات متعددة الأحزاب التي بالتالي أدت إلى تحول بلغاريا إلى دولة ديمقراطية ومركز سوق اقتصادي.
وانضمت إلى الاتحاد الأوروبي في أول يناير 2007.
الجغرافيا
بلغاريا تحتل جزءا من شبه جزيرة البلقان الشرقية على الحدود مع خمس دول اليونان وتركيا من الجنوب ومقدونيا وصربيا إلى الغرب، ورومانيا إلى الشمال. الحدود البرية لديها بطول إجمالي يبلغ 1808 كيلومتر (1123 ميل)، والساحل يبلغ طولها 354 كيلومتر (220 ميل). تبلغ مساحة إجمالية قدرها 110994 كيلو متر مربع (42855 ميل مربع) في المرتبة انها العالم ال 105 - لرجسة البلاد.[1][2] الإحداثيات الجغرافية بلغاريا هي 43 ° N 25 ° E.[3]
الميزات الطبوغرافية أبرز هي سهل دانوب وجبال البلقان، والتراقي عادي، وجبال رودوب. على الحافة الجنوبية للدانوب عادي المنحدرات صعودا إلى سفوح جبال البلقان، في حين يحدد نهر الدانوب على الحدود مع رومانيا. والتراقي عادي هو الثلاثي تقريبا، ابتداء من جنوب شرق صوفيا وتوسيع نطاق وصولها إلى ساحل البحر الأسود.
تشغيل جبال البلقان أفقيا من خلال وسط البلاد. وجبلية جنوب غرب البلاد اثنين من جبال الألب نطاقات ريلا وبيرين، التي تقع على حدود جبال أقل ولكن أكثر اتساعا رودوب إلى الشرق. بلغاريا تعد موطنا لأعلى نقطة في شبه جزيرة البلقان، المصلى، في 2925 متر (9596 قدم) وأدنى نقطة له هو مستوى سطح البحر. السهول تحتل حوالي ثلث أراضي، في حين الهضاب والتلال تحتل 41 في المائة. وتشهد البلاد شبكة كثيفة من حوالي 540 نهرا، وهي في معظمها صغيرة نسبيا ومع انخفاض منسوب المياه.[4] وأطول نهر يقع فقط في الأراضي البلغارية، وعسكر، يبلغ طولها 368 كيلومتر (229 ميل). وتشمل الأنهار الرئيسية الأخرى لمركب ستروما وماريتزا في الجنوب.
بلغاريا لديها مناخ ديناميكي، والذي ينتج من كونها المتمركزة في نقطة التقاء البحر الأبيض المتوسط والكتل الهوائية القارية وتأثير حاجز جبالها. المتوسطات الشمالية بلغاريا 1 درجة مئوية (1.8 درجة فهرنهايت) أكثر برودة ويسجل 200 ملليمترا ( 7.9 في) المزيد من الأمطار سنويا من مناطق جنوب جبال البلقان. سعة درجة الحرارة تتفاوت تفاوتا كبيرا في مختلف المجالات. أدنى درجة حرارة سجلت هي -38.3 درجة مئوية (-36.9 درجة فهرنهايت)، في حين أن أعلى من 45.2 درجة مئوية (113.4 درجة فهرنهايت). المتوسطات الهطول عن 630 ملم (24.8 في) سنويا، وتتراوح من 500 ملم ( 19.7 في) في دبردجا إلى أكثر من 2500 ملم (98.4 في) في الجبال. الكتل الهوائية القارية جلب كميات كبيرة من الثلوج خلال فصل الشتاء.
الديموغرافيا
السكان
حسب إحصاءات عام 2001 فإن حوالي 83.9% من سكان بلغاريا هم بلغاريون، مع وجود أقليتين كبيرتين هم الأتراك (9.4%) والغجر (4.7%)، كما أن هناك أقليات أخرى صغيرة، أهمها الأرمن، الروس، التتار، المقدونيون، اليهود وغيرهم.
اللغة
اللغة الرسمية هي البلغارية والتي يتحدث بها حوالي 84.8% من سكان البلاد، وهي إحدى اللغات السلافيية الجنوبية. ينطق بها حوالي عشرة ملايين نسمة في بلغاريا وأجزاء من اليونان،ورومانيا، وجمهوريتى مولدوفيا وأوكرانيا. أبجديتها سيريلية الأصل ويبلغ عدد حروفها تسعة وعشرون حرفا.
الدين
مسيحيون أرثودوكسيون: 84% من البلغار هم أتباع الكنيسة البلغارية الأرثوذكسية، إحدى الكنائس الأرثوذكسية الشرقية.
مسلمو بلغاريا: حوالي 13% من سكان بلغاريا هم مسلمون
مسيحيون طوائف أخرى وديانات أخرى: حوالي 3% هم من الـ كاثوليك، وبروتستانت وأتباع لديانات أخرى.
يعد التاريخ الحقيقي لدخول الإسلام لبلغاريا مع الغزو العثماني الذي قام به السلطان مراد الأول الذي احتل صوفيا والجزء الجنوبي من بلغاريا سنة 774 هـ ثم مواصلة الاحتلال على يد السلطان بايزيد الصاعقة ابن مراد الأول سنة 796 هـ، وكان هذا الغزو إيذاناً باشتعال الحروب الصليبية الأوربية ضد الغزو الإسلامى وخرجت بلغاريا من السيادة العثمانية بعد هزيمة بايزيد الصاعقة على يد تيمور لنك في معركة سهل أنقرة سنة 805هـ، ولكن سرعان ما عادت بلغاريا للسيادة العثمانية مرة أخرى أيام السلطان محمد الفاتح وظلت تحت حكم الإسلام من سنة 863هـ حتى سنة 1295هـ في مؤتمر برلين الذي أعطيت فيه بلغاريا الاستقلال النهائي عن الدولة العثمانية التي كانت في حالة شديدة من الضعف وتسلط الأعداء وأثناء حكم العثمانيين لتلك البلاد والذي امتد أكثر من أربعة قرون كان من الطبيعي أن يدخل الإسلام مع المحتلين الجدد واستوطن عدد من العثمانيين البلاد كما اعتنق الإسلام عدد من أهل البلاد وقد عرف هؤلاء باسم 'البوماك' وعلى الرغم من طول فترة الحكم الإسلامي لتلك البلاد إلا أن عد المسلمين لم يكن كبيراً مقارنة مع المسيحيين ذلك لانصراف العثمانيين عن الاهتمام بالدعوة ونشر الدين الإسلامي في البلاد المفتوحة خاصة أوروبا حيث كانت الدعوة يقوم بأمرها الدعاة والمحتسبون على مستوى فردي أو جماعات وليس سياسة دولة شاملة، كذلك لضعف العثمانيين في اللغة العربية جعلهم لا يقومون بواجب الدعوة كما يجب أن يكون.
الأعياد والعطلات الرسمية
التاريخ'المناسبة1 ينايررأس السنة الميلادية6 ينايرعيد الظهور3 مارسعيد التحرير19 مارسعيد الفصح1 مايوعيد العمال24 مايويوم التربية والثقافة6 سبتمبرعيد الاتحاد22 سبتمبرعيد الاستقلال1 نوفمبرعيد جميع القديسين25 ديسمبرعيد الميلاد المجيد
التاريخ
أول دولة بلغارية تعود نشأتها إلى عام 681 م، أسستها آنذاك قبائل بلغارية تحت قيادة الخان أسباروخ بالتعاون مع السكان المحليين من القبائل السلافية والثراسية. دخل الدين المسيحي عام 864م إلى البلاد، حيث كانت تقع تحت منطقة التأثير البيزنطي. كانت الإمبراطورية البلغارية ذات قوة ونفوذ في أوروبا في القرنين التاسع والعاشر الميلادي وكانت العدو الأبرز للإمبراطورية البيزنطية أثناء منافسة الدولتين على أراضي البلقان.
احتل العثمانيون بلغاريا عام 1396 م وضموها إلى دولة الخلافة. بقيت تحت سيطرتهم أربع مئة سنة. طبقاً لاتفاقية سان ستيفانو لإنهاء الحرب الروسية التركية حصلت بلغاريا على الاستقلال رسمياً عام 1878 م ولكنها بقيت فعلياً تحت سيطرة الأتراك.
أُعلن قيام مملكة بلغاريا عام 1908 م وفرديناند الأول ملكاً لها. انتصرت بلغاريا في حرب البلقان الأولى عام 1912 م و1913 م ضد الأتراك ولكنها انهزمت في حرب البلقان الثانية عام 1913 م ضد العثمانيين واليونانيين والصرب.
في الحرب العالمية الأولى انضمت بلغاريا إلى جانب قوات المحور في الحرب العالمية الأولى. بعد هزيمتها في الحرب العالمية تنازل فرديناند الأول لصالح ابنه بوريس الثالث.
في فترة ما بين الحربين العالميتين حاول الشيوعيون الوصول إلى الحكم بطرق سلمية وطرق أخرى ولكن دون جدوى. في عام 1935 انتهج بوريس الثالث من بلغاريا سياسة داخلية استبدادية، منهياً بذلك الحياة الديمقراطية. وقفت بلغاريا إلى جانب دول المحور في الحرب العالمية الثانية، احتلتها القوات السوفياتية عام 1944 وأُعلن قيام الجمهورية الشعبية عام 1946 م، أصبحت بذللك رويداً رويداً إحدى دول الكتلة الشيوعية لغاية التسعينات من القرن العشرين. شهدت المناطق التي تسكنها الأقلية التركية ترحيل جماعي، قلاقل ونزاعات عدة.
أُقيمت أول انتخابات حرة عام 1990 في بلغاريا بعد سقوط الشيوعية، الحزب الاشتراكي (الشيوعي السابق) فاز بها.
السياسة
النظام السياسي
بلغاريا هي جمهورية برلمانية، يتم انتخاب الرئيس فيها مباشرة كل خمس سنوات، له الحق في تمديد رئاسته مرة واحدة. الرئيس هو أعلى سلطة سياسية في البلاد وهو قائد القوات المسلحة، البرلمان له الحق في الاعتراض على قرارات الرئيس عند حصوله على الأغلبية. يتم تسمية رئيس الوزراء من قبل رئيس الدولة، اعتمادا على نتائج الانتخابات النيابية، مجلس الوزراء يحتوي حاليا على عشرين عضوا، يتكون البرلمان البلغاري Narodno Sabranie من مجلس واحد، به 240 عضوا، يتم انتخابهم كل أربع سنوات. يتألف الجهاز القضائي البلغاري، من محاكم محلية، إقليمية ومحاكم استئناف، إضافة إلى المحكمة الدستورية والمحكمة الإدارية العليا ومحاكم عسكرية أخرى.
العلاقات الخارجية
أصبحت بلغاريا عضوا في الأمم المتحدة في عام 1955 ومنذ عام 1966 كان عضوا غير دائم في مجلس الأمن ثلاث مرات، كان آخرها من عام 2002 إلى عام 2003. بلغاريا وكان أيضا من بين الدول المؤسسة لمنظمة الأمن و التعاون في أوروبا (OSCE) في عام 1975. وانضم إلى حلف شمال الاطلسي في 29 مارس 2004، وقعت على معاهدة الاتحاد الأوروبي الانضمام في 25 نيسان 2005، وأصبح عضوا كاملا في الاتحاد الأوروبي في 1 يناير 2007. استطلاعات الرأي التي أجريت بعد سبع سنوات على انضمام البلاد لتأسيس الاتحاد الأوروبي 15٪ فقط من البلغار شعرت أنها استفادت شخصيا من العضوية، مع ما يقرب من 40٪ من السكان قائلين انهم لن يكلف نفسه عناء التصويت في انتخابات الاتحاد الأوروبي 2014. أصبح التكامل الأوروبية الأطلسية أولوية لهذا البلد منذ سقوط الشيوعية، على الرغم من أن اضطرت القيادة الشيوعية أيضا تطلعات ترك حلف وارسو والانضمام إلى المجتمعات الأوروبية التي كتبها عام 1987.
العلاقة بلغاريا مع جيرانها منذ عام 1990 وكانت جيدة عموما. البلاد أيضا يلعب دورا هاما في تعزيز الأمن الإقليمي. بلغاريا لديها تعاون الاقتصادي والدبلوماسي الثلاثي النشط مع رومانيا واليونان، تقيم علاقات قوية مع دول الاتحاد الأوروبي والولايات المتحدة وروسيا، ويستمر لتحسين قدرتها علاقات جيدة تقليديا مع الصين، وفيتنام. محاكمة فيروس نقص المناعة البشرية في ليبيا، والتي أعقبت بعد سجن العديد من الممرضات البلغاريات في بنغازي في عام 1998، كان لها تأثير كبير على العلاقات بين بلغاريا والاتحاد الأوروبي وليبيا. وأسفر إطلاق سراح الممرضات قبل حكومة الزعيم الليبي معمر القذافي، والتي منحت عقدا للحصول على المفاعل النووي وأسلحة الإمدادات من فرنسا في المقابل.
التقسيمات الإدارية
بلغاريا هي دولة وحدوية.[5] منذ 1880 في، تفاوت عدد من الوحدات الإدارية الإقليمية من سبعة إلى 26.[6] بين عامي 1987 و 1999 الهيكل الإداري يتألف من تسع محافظات. وقد تم اعتماد هيكل إداري جديد بالتوازي مع اللامركزية في النظام الاقتصادي.[7] ويشمل 27 مقاطعة ومحافظة العاصمة العاصمة (صوفيا-غراد). جميع المناطق أسماءها من العواصم الخاصة بكل منها. المحافظات ويقسم إلى 264 بلدية.
يتم تشغيل البلديات من قبل رؤساء البلديات، الذين يتم انتخابهم لمدة أربع سنوات، والمجالس البلدية المنتخبة مباشرة. بلغاريا هي دولة مركزية إلى حد كبير، حيث يعين المجلس الوطني من الوزراء مباشرة الحكام الإقليميين وجميع المحافظات والبلديات تعتمد اعتمادا كبيرا على أنه للحصول على التمويل.
البلديات
المقاطعات تنقسم بدورها إلى 263 بلدية،
أهم المدن
صوفيا هي عاصمة البلاد الرسمية وأكبر مدنها (حوالي 1,250,000 نسمة). المدن الكبرى الأخرى:-
بلوفديف.
فارنا.
بورغاس.
ستارازاغورا.
بلفن.
فيليكو ترنوفو.
شومن.
تارغوفيشته.
بيرنيك.
وهناك العديد من المدن الأخرى الصغيرة مثل مدينة دراغويفو، بودغوريكا كوساركا.
التركيبة السكانية
ويبلغ عدد سكان بلغاريا 7364570 نسمة حسب التعداد الوطني عام 2011. الغالبية العظمى من السكان، أو 72.5 في المائة، يقيمون في المناطق الحضرية؛ تقريباً يتركز سدس مجموع السكان في صوفيا البلغار هم المجموعة العرقية الرئيسية وتشمل 84.8 في المئة من. عدد السكان. تشمل الأقليات التركية وروما 8.8 و 4.9 في المائة على التوالي. وتضم نحو 40 الأقليات الصغيرة بنسبة 0.7 في المائة، و 0.8 في المائة لا تحديد المصير مع مجموعة عرقية.
جميع المجموعات العرقية تتحدث البلغارية، إما كلغة أولى أو كلغة ثانية. البلغارية هي اللغة الوحيدة التي صفة رسمية وأصلية عن 85.2 في المائة من السكان. أقدم لغة مكتوبة السلافية، البلغارية تكون مميزة من اللغات الأخرى في هذه المجموعة من خلال بعض الخصائص النحوية مثل عدم وجود حالات الاسم وإنفينيتيفس، والتعريف سوفكسد.[9][10]
وتشير تقديرات الحكومة من 2003 معدل معرفة القراءة والكتابة في 98.6 في المائة، مع عدم وجود فرق كبير بين الجنسين. وكانت المستويات التعليمية العالية تقليدياً، وإن كانت لا تزال بعيدة عن المعايير الأوروبية والتدهور المستمر على مدى العقد الماضي. وكان الطلاب البلغارية بين أعلى الدرجات في العالم من حيث القراءة في عام 2001، وأداء أفضل من لهم نظرائه الكندي والألماني. بحلول عام 2006، وكان العشرات في القراءة والرياضيات والعلوم تدهورت. الإنفاق الحكومي على التعليم هي أقل بكثير من متوسط الاتحاد الأوروبي. وزارة التربية والتعليم والشباب والعلوم تمول جزئياً المدارس العامة والكليات والجامعات، ويحدد معايير للكتب المدرسية وتشرف على عملية النشر. وتوفر الدولة التعليم المجاني في المدارس الابتدائية والثانوية العامة. تمتد العملية التعليمية من خلال 12 درجات، حيث الصف الأول وحتى ثمان الابتدائي وتسعة من خلال الاثني عشر هي المرحلة الثانوية. يمكن المدارس الثانوية أن تكون الفني والمهني، عامة أو متخصصة في بعض الانضباط، في حين يتكون التعليم العالي على درجة البكالوريوس لمدة 4 سنوات، ودرجة الماجستير من العمر 1 و.
دستور بلغاريا تعرف بأنها دولة علمانية مع الحرية الدينية مكفولة، ولكن يعين الأرثوذكسية كدين "التقليدية".[11] والكنيسة الأرثوذكسية البلغارية اكتسبت مكانة المستقلة في عام 927 ميلادية,[12][13] وحاليا لديها 12 الأبرشيات وأكثر من 2000 الكهنة. أكثر من ثلاثة أرباع البلغار الاشتراك في الأرثوذكسية الشرقية. المسلمون السنة هي ثاني أكبر مجتمع وتشكل 10 في المائة من التركيبة الدينية، على الرغم من أن الغالبية منهم لا يصلي والعثور على استخدام الحجاب الإسلامي في المدارس غير مقبولة. تنتسب أقل من ثلاثة في المائة مع الأديان الأخرى، 11.8 في المائة لا يعرفون الذاتي مع الدين ورفض 21.8 في المائة إلى القول معتقداتهم.
بلغاريا لديها نظام صحي شامل الممولة من الضرائب والمساهمات. الصندوق الوطني للتأمين الصحي (NHIF) يدفع نسبة متزايدة تدريجياً من تكاليف الرعاية الصحية الأولية. نفقات الرعاية الصحية المتوقعة لعام 2013 تبلغ 4.1 في المائة من الناتج المحلي الإجمالي. عدد الأطباء فوق المتوسط في الاتحاد الأوروبي مع 181 طبيباً لكل 100،000 شخص، ولكن التوزيع حسب مجالات الممارسة غير المتكافئ، وهناك نقص حاد في الممرضين وغيرهم من العاملين في المجال الطبي، ونوعية معظم الطبية مرافق رديئة. نقص الموظفين في بعض الحقول شديدة لدرجة أن المرضى الذين يلجأون إلى طلب العلاج في البلدان المجاورة. بلغاريا في المرتبة 113th في العالم بحلول متوسط العمر المتوقع، والذي يبلغ 73.6 سنة لكلا الجنسين. والأسباب الرئيسية للوفاة هي مماثلة لتلك في البلدان الصناعية الأخرى، وأمراض القلب والأوعية الدموية بشكل رئيسي، والأورام وأمراض الجهاز التنفسي.
بلغاريا في حالة من الأزمة الديموغرافية. وكان له النمو السكاني السلبي منذ 1990 في وقت مبكر، عندما تسبب الانهيار الاقتصادي على الأمد الطويل موجة الهجرة. بعض 937،000 إلى 1،200،000 شخص معظمهم من الشباب - يسار البلاد بحلول عام 2005. ويقدر إجمالي معدل الخصوبة الإجمالي في عام 2013 عند 1.43 الأطفال الذين يولدون / امرأة، وهو أقل من معدل الإحلال 2.1. وثلث جميع الأسر تتكون من شخص واحد فقط و75،5 في المائة من الأسر ليس لديها أطفال تحت سن ال 16. ونتيجة لذلك، والنمو السكاني والولادة الأسعار من بين أدنى المعدلات في العالم في حين أن معدلات الوفاة من بين أعلى المعدلات. غالبية الأطفال يولدون للنساء غير المتزوجات (من جميع الولادات كانت 57.4 في المائة خارج إطار الزواج في عام 2012).
الثقافة
تحتوي الثقافة البلغارية التقليدية أساسا التراقي، والسلافية والبلغار التراث، جنبا إلى جنب مع اليونانية والرومانية والعثمانية والفارسية وسلتيك التأثيرات.[14][15][16] وقد نقشت تسعة أشياء التاريخية والطبيعية في قائمة مواقع التراث العالمي لليونسكو: وفارس مادارا، القبور التراقية في سفيشتاري وكازانلاك، وكنيسة بويانا، دير ريلا، والكنائس المحفورة في الصخر من إيفانوفو، حديقة بيرين الوطنية، سربرنا محمية والمدينة القديمة من نيسبار نيستينارستفو.[17] طقوس يتم تضمين النار الرقص من أصل التراقي، في قائمة التراث الثقافي غير المادي لليونسكو. النار هو عنصر أساسي من عناصر الفولكلور البلغاري، وتستخدم لإبعاد الأرواح الشريرة والأمراض. الفولكلور البلغارية في شخصه الأمراض مثل السحرة ولديها مجموعة واسعة من المخلوقات، بما في ذلك لمياء، صمديفا (فيلا) وكاركندزلا. بعض العادات والطقوس ضد هذه الأرواح على قيد الحياة ولا تزال تمارس، وأبرزها كوكري وصرفكر. مارتنيتصا كما احتفل على نطاق واسع.
وكان مركز الثقافة السلافية في كل من الأول والإمبراطورية البلغارية الثانية خلال معظم العصور الوسطى. المدارس بريسلاف، أوهريد وترنوفو الأدبية التي تمارس التأثير الثقافي الكبير أنحاء العالم الأرثوذكسية الشرقية.[18][19][20] العديد من اللغات في أوروبا الشرقية وآسيا تستخدم السيريلية السيناريو، التي نشأت في مدرسة بريسلاف الأدبية حوالي القرن 9.[21] وتقدم في القرون الوسطى في الفنون والآداب وانتهى مع الغزو العثماني عندما تم تدمير العديد من الروائع، والأنشطة الفنية لم تعاود الظهور، حتى النهضة الوطنية في القرن 19.[22] وبعد التحرير، والأدب البلغاري اعتمد بسرعة الأنماط الأدبية الأوروبية مثل الرومانسية ورمزية. منذ بداية القرن 20، العديد من الكتاب البلغارية، مثل إيفان فازوف، بنكهه سلافكوف، بييو يفرف، يوردان رادكليف وتزفيتان تودوروف اكتسبت أهمية.[23][24] وفي عام 1981 حصل على جائزة الكاتب ولد البلغارية-إلياس كانيتي جائزة نوبل جائزة في الأدب.
الموسيقى الشعبية البلغارية هو إلى حد بعيد الفن التقليدي الأكثر شمولا، وقد وضعت ببطء على مر العصور كما مزيج من التأثيرات الشرقية والغربية. أنه يحتوي على الشرق الأقصى، الشرقية، في القرون الوسطى الأرثوذكسية الشرقية والقياسية النغمية وسائط أوروبا الغربية. والموسيقى لها صوت مميز ويستخدم مجموعة واسعة من الأدوات التقليدية، مثل جدولك، غيداء (مزمار القربة)، قفل وتبان. ويمتد واحدة من أهم السمات المميزة الوقت متوازن، والذي لا يوجد له نظير في بقية الموسيقى الأوروبية. وتلفزيون الدولة أنثى صوتي جوقة هو الأكثر شهرة أداء الفرقة الشعبية، وحصل على جائزة جرامي في عام 1990. التأليف الموسيقي مكتوبة بلغاريا يمكن أن ترجع إلى العصور الوسطى المبكرة وأعمال يا كوكوزل (ج. 1280-1360). وتمثل الموسيقى الكلاسيكية والأوبرا والباليه من الملحنين إيمانويل منولف، بانشو فلاديجرف وجورجي أتاناسوف والمطربين غنى ديميتروفا، بوريس خريستوف ونيكولاي غيرف. اكتسبت الأداء البلغارية شعبية في العديد من الأنواع الأخرى مثل الصخور التقدمية (FSB)، إلكتروبوب (ميرا أرويو) والجاز (معلش يفايف ).
ويشمل التراث الفنون البصرية الديني جدارية، جداريات والرموز، وكثير من إنتاج مدرسة القرون الوسطى ترنوفو الفنية فلاديمير ديميتروف، نيكولاي دولغرف وكريستو هي بعض من الفنانين البلغاري المعاصر الأكثر شهرة تبقى صناعة الأفلام الضعيفة: في عام 2010، أنتجت بلغاريا ثلاثة أفلام روائية وفيلمين وثائقيين مع التمويل العام. يتم الإعلان عن الفعاليات الثقافية في أكبر وسائل الإعلام، بما في ذلك الإذاعة الوطنية البلغارية، والصحف اليومية دنف ترود، دنيفنيك و 24 شاسا.
في حين يتم التحكم أقسام رئيسية من وسائل الإعلام بلغاريا من قبل كيانات الدولة، بما في ذلك التلفزيون البلغاري الوطني، والإذاعة الوطنية البلغارية، وكالة الانباء البلغارية، يعتبر التقرير عموما لن يكون منحازا بسبب التدخل الحكومي المباشر، رغم عدم وجود تشريعات محددة للحفاظ على هذا. وسائل الاعلام كتب لا يوجد لديه قيود قانونية، وعدد كبير من المحطات التلفزيونية والإذاعية الخاصة موجودة أيضا. على الرغم من هذا، وسائل الإعلام البلغارية التقليدية تعاني من ضغوط اقتصادية وسياسية سلبية، وظهرت حالات الرقابة الذاتية. وفي الوقت نفسه، وسائل الإعلام الإنترنت هو في تزايد شعبية بسبب افتقارها إلى الرقابة وتنوع المحتوى والآراء التي توفرها.
انظر أيضاً
رؤساء وزراء بلغاريا
الحواشي
المصادر
Unknown parameter |التاريخ= ignored (help); Unknown parameter |اللغة= ignored (help); Unknown parameter |الناشر= ignored (help); Unknown parameter |تاريخ الوصول= ignored (help); Unknown parameter |العنوان= ignored (help); Missing or empty |title= (help)
Chary, Frederick B. The History of Bulgaria (The Greenwood Histories of the Modern Nations) (2011)
Crampton, R. J. A Concise History of Bulgaria (2005) Cambridge, UK; New York: Cambridge University Press ISBN 978-0-521-61637-9
Bell, John D., ed. (1998). Bulgaria in Transition: Politics, Economics, Society, and Culture after Communism. Westview. ISBN 978-0-8133-9010-9
Ghodsee, Kristen R. (2011) Lost in Transition: Ethnographies of Everyday Life After Communism. Duke University Press.
Ghodsee, Kristen R. (2010) Muslim Lives in Eastern Europe: Gender, Ethnicity and the Transformation of Islam in Postsocialist Bulgaria. Princeton University Press.
Ghodsee, Kristen R. (2005) The Red Riviera: Gender, Tourism and Postsocialism on the Black Sea. Duke University Press.
المراجع
وصلات خارجية
*
تصنيف:إمبراطوريات سابقة
تصنيف:بلدان مطلة على البحر الأسود
تصنيف:جمهوريات
تصنيف:دول أعضاء في الأمم المتحدة
تصنيف:دول أعضاء في الاتحاد الأوروبي
تصنيف:دول أعضاء في الاتحاد من أجل المتوسط
تصنيف:دول أعضاء في الفرانكوفونية
تصنيف:دول أعضاء في حلف شمال الأطلسي
تصنيف:دول أعضاء في مجلس أوروبا
تصنيف:دول أوروبا
تصنيف:دول سلافية
تصنيف:دول وأقاليم تأسست في 1878
تصنيف:دول وأقاليم تأسست في 1908
تصنيف:دول وأقاليم تأسست في عقد 680
تصنيف:ديمقراطيات ليبرالية
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%A8%D9%84%D8%BA%D8%A7%D8%B1%D9%8A%D8%A7 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
566,
743,
1200,
1484,
1865,
2431,
2803,
3316,
3585,
5504,
5782,
6274,
6665,
7305,
7778,
8091,
8260,
8600,
8795,
8912,
9240,
9725,
9828,
10244,
10406,
10799,
11071,
11448,
11791,
12241
],
"plaintext_end_byte": [
565,
742,
1199,
1470,
1864,
2430,
2802,
3306,
3584,
5503,
5781,
6273,
6607,
7304,
7747,
8079,
8259,
8599,
8794,
8911,
9231,
9717,
9827,
10243,
10395,
10789,
11063,
11436,
11790,
12231,
12467
]
} | What's the difference between man-slaughter and homicide? | Murder (United States law) | english | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
73
],
"minimal_answers_end_byte": [
426
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
In the United States, the law regarding murder varies by jurisdiction. In most U.S. jurisdictions there is a hierarchy of acts, known collectively as homicide, of which first degree murder and felony murder are the most serious, followed by second degree murder, followed by voluntary manslaughter and involuntary manslaughter which are not as serious, and ending finally in justifiable homicide, which is not a crime at all. However, because there are at least 52 relevant jurisdictions, each with its own criminal code, this is a considerable simplification.[1]
Sentencing also varies very widely depending upon the specific murder charge. "Life imprisonment" is a common penalty for first degree murder, but its meaning varies widely.[2]
Capital punishment is a legal sentence in 32 states,[3] and also the federal civilian and military legal systems. The United States is unusual in actually performing executions,[4] with 34 states having performed executions since capital punishment was reinstated in 1976. The methods of execution have varied but the most common method since 1976 has been lethal injection.[5] In 2014 a total of 35 people were executed,[6] and 3,002 were on death row.[7]
The Unborn Victims of Violence Act, enacted in 2004, codified at 18 U.S. Code § 1841,[8] allows for a fetus to be treated as a victim in crimes. Subsection (c) of that statute specifically prohibits prosecutions related to consented abortions and medical treatments.[8]
Jurisdiction
If murder is committed within the borders of a state, that state has jurisdiction, and in a similar way, if the crime is committed in the District of Columbia, the D.C. Superior Court (the equivalent of a state court in the District) retains jurisdiction, though in some cases involving U.S. government property or personnel, the federal courts may have exclusive jurisdiction.[9]
If, however, the victim is a federal official, an ambassador, consul or other foreign official under the protection of the United States, or if the crime took place on federal property or involved crossing state borders, or in a manner that substantially affects interstate commerce or national security, then the federal government also has jurisdiction. If a crime is not committed within any state, then federal jurisdiction is exclusive, for example vessels of the U.S. Navy or the U.S. Merchant Marine in international waters and U.S. military bases worldwide.
In addition, murder by a member of the United States Armed Forces or a prisoner while under custody of the United States Armed Forces is in violation of Article 118 of the Uniform Code of Military Justice and can result in the perpetrator being tried by a general court-martial, subjecting to certain types of jurisdictions within its own borders or with foreign nations.
Jurisdiction over the crime of murder can be complex as a result of the principle of "dual sovereignty" that is part of federalism. In cases where a murder involves both state and federal jurisdiction, the offender can be tried and punished separately for each crime without raising issues of double jeopardy, unless the court believes that the new prosecution is merely a "sham" forwarded by the prior prosecutor.[10] In the United States there is no statute of limitations on the crime of murder.[11]
Degrees
States have adopted several different schemes for classifying murders by degree. The most common separates murder into two degrees (first and second degree murder), and treats voluntary and involuntary manslaughter as separate crimes that do not constitute murder.[71]
First-degree murder: any intentional murder that is willful and premeditated with malice aforethought. Felony murder, a charge that may be filed against a defendant who is involved in a dangerous crime where a death results from the crime,[71] is typically first-degree.[72]
Second-degree murder: any intentional murder with malice aforethought, but is not premeditated or planned in advance. [73]
Voluntary manslaughter: sometimes called a crime of passion murder, is any intentional killing that involves no prior intent to kill, and which was committed under such circumstances that would "cause a reasonable person to become emotionally or mentally disturbed". Both this and second-degree murder are committed on the spot under a spur-of-the-moment choice, but the two differ in the magnitude of the circumstances surrounding the crime. For example, a bar fight that results in death would ordinarily constitute second-degree murder. If that same bar fight stemmed from a discovery of infidelity, however, it may be mitigated to voluntary manslaughter.[74]
Involuntary manslaughter: a killing that stems from a lack of intention to cause death but involving an intentional or negligent act leading to death. A drunk driving–related death is typically involuntary manslaughter (see also vehicular homicide, causing death by dangerous driving, gross negligence manslaughter and causing death by criminal negligence for international equivalents). Note that the "unintentional" element here refers to the lack of intent to bring about the death. All three crimes above feature an intent to kill, whereas involuntary manslaughter is "unintentional", because the killer did not intend for a death to result from their intentional actions. If there is a presence of intention it relates only to the intent to cause a violent act which brings about the death, but not an intention to bring about the death itself.[75]
The Model Penal Code classifies homicides differently, without degrees. Under it, murder is any killing committed purposefully and knowingly, manslaughter is any killing committed as a result of recklessness, and negligent homicide is any killing resulting from negligence.[76]
Some states classify their murders differently. In Pennsylvania, first-degree murder encompasses premeditated murders, second-degree murder encompasses accomplice liability, and third-degree serves as a catch-all for other murders. In New York, first-degree murder involves "special circumstances", such as the murder of a police officer or witness to a crime, multiple murders, or murders involving torture.[77] Under this system, second-degree murder is any other premeditated murder.[78]
The New York statutes also recognize "murder for hire" as first degree murder. Texas uses a similar scheme to New York, but refers to first-degree murder as "capital murder", a term which typically applies only to those crimes that merit the death penalty. Some states, such as Florida, do not separate the two kinds of manslaughter.
Punishment
Federal
Military
By states
Fetal killing
Under the common law, an assault on a pregnant woman resulting in a stillbirth was not considered murder.[83] Remedies were limited to criminal penalties for the assault on the mother and tort action for loss of the anticipated economic services of the lost child and/or for emotional pain and suffering. With the widespread adoption of laws against abortion, the assailant could be charged with that offense, but the penalty was often only a fine and a few days in jail. A number of states have passed "fetal homicide" laws, making killing of a fetus murder; the laws differ about the stage of development at which the fetus is protected.
After several well-publicized cases, Congress in 2004 passed the Unborn Victims of Violence Act, which specifically criminalizes harming a fetus, with the same penalties as for a similar attack upon a person, when the attack would be a federal offense.[84] Most such attacks fall under state laws; for instance, Scott Peterson was convicted of killing his unborn son as well as his wife under California's pre-existing fetal homicide law.[85]
Sentencing guidelines
Arizona
In Arizona, a person is charged with murder when the offender knowingly and intentionally causes the death of a person or unborn child. The murder must be premeditated. In the state of Arizona, if one is found guilty of first degree murder, there is the possibility of receiving the death penalty.[86]
California
If a person is convicted of capital murder in California, that person may face a sentence of life in prison without the possibility of parole, or the death penalty.[87]
A person convicted of first-degree murder will face a sentence of 25 years-to-life in prison, and thus must serve at least 25 years before being eligible for parole.[87] If the murder was committed because of the victim’s race, religion, or gender, the convicted will be sentenced to life in prison without the possibility of parole.[88]
A person convicted of second-degree murder in California will face a sentence of 15 years-to-life in prison, and thus must serve at least 15 years in prison before being eligible for parole.[89]
Punishments are increased if the murder victim was a peace officer[90] or was killed during a drive-by shooting.[91]
If a gun was used during the murder, the punishment will include an additional 10, 20, or 25-years to life prison sentence. Those convicted will also receive a strike on their criminal record, and fines of up to $10,000. They will also have to pay restitution to victims, and will no longer be allowed to own a gun.[92]
Florida
In Florida, a person is guilty of first degree murder when it is perpetrated from a premeditated design to result in the death of a human being. A person is also guilty of first degree murder if they cause the death of any individual during the commission of a predicate felony regardless of actual intent or premeditation. This is called felony murder. This offense is categorized as capital offense, if convicted the offender could possibly receive the death penalty.[93][94]
Hawaii
In Hawaii, a person commits first degree murder when the crime involves one or more specific elements:
Multiple victims killed
A public safety official, such as a police officer, firefighter, or paramedic/EMT
A judge or prosecutor killed (in connection with their respective duties)
A witness in a criminal case killed (in connection with the person being a witness)
Murder committed for hire (with the charge applying to both the murderer and the person who paid the murderer)
Murder committed by an imprisoned person
The State of Hawaii has no death penalty. If they are found guilty, the maximum penalty is life imprisonment without the possibility of parole.[95][96]
Louisiana
Louisiana states that homicide in the third degree is manslaughter. There are other specific guidelines, for example, the killing of a police officer or firefighter is an automatic first degree charge, and intent to kill more than one person is automatically a first degree charge. In the State of Louisiana convicted murderers can receive life imprisonment or the death penalty.[97]
Michigan
In Michigan, a person is found guilty of first degree murder when murder is perpetrated by means of poison, lying in wait, or any other willful, deliberate, and premeditated killing. In Michigan the top penalty the perpetrator can receive is life imprisonment.[98]
Nevada
In Nevada, first degree murder is the unlawful killing of a human being with malice aforethought, either expressed or implied. If a serial killer is found guilty with aggravating circumstances, for example killing someone with torture or killing a stranger with no apparent motive, then the State can seek the death penalty or a sentence of life without parole.[99]
Washington
In the state of Washington, a person is found guilty of first degree murder when there is a premeditated intent to cause the death of another person. Murder in the first degree is a class A felony in the state of Washington.[100] If a person is convicted of first degree murder, he will not receive anything lower than life imprisonment.[101]
The offender can possibly get a charge of aggravated first degree murder if he commits first degree murder and have an aggravating circumstance, for example if he kills a public safety official, such as a police officer, firefighter, or paramedic/EMT. In this case he can receive the death penalty.[102] However, in October of 2018, the Washington State Supreme Court ruled that execution could no longer be used as a penalty for any crime.
See also
Crime in the United States
Depraved-heart murder
Whole life order, an equivalent life-without-parole sentence given for murder, under certain aggravating circumstances, under English criminal law
List of murder laws by country
Notes
| https://en.wikipedia.org/wiki/Murder%20%28United%20States%20law%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
226,
309,
962,
1025,
1715,
2620,
2648,
3652,
3998,
4189,
4419,
4636,
5134,
5537,
6201,
6319,
9124,
10299,
11236,
11597,
11794,
12822,
13435,
13635,
13906,
14105,
14379,
14592,
14670,
14889,
14963,
15007,
15254,
15298,
15493,
16092
],
"plaintext_end_byte": [
190,
308,
961,
1024,
1673,
2619,
2647,
3651,
3997,
4151,
4418,
4635,
5096,
5536,
6200,
6318,
9089,
10298,
11210,
11596,
11780,
12796,
13400,
13634,
13883,
14051,
14368,
14578,
14656,
14872,
14962,
15006,
15253,
15297,
15458,
16078,
16341
]
} | 獣医学部を卒業しなければ、獣医の国家資格試験を受験することはできない? | 獣医師 | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
獣医師(じゅういし、英語:veterinary physician)は、ヒト以外の動物の医師。各国の制度ごとに獣医師の免許の取得資格等は異なっている[1]。
日本の獣医師
獣医師資格
獣医師免許の日本における認可機関は農林水産省である[1]。
獣医師でない者が、飼育動物(牛・馬・豚・めん羊・山羊・犬・猫・鶏・うずら・その他獣医師が診察を行う必要があるものとして政令で定めるものに限る)の診療を業務としてはならない業務独占資格でもあり、獣医師でない者が「獣医師」[2]の名称を使用したり、「動物医」・「家畜医」・「ペット医」等の紛らわしい名称も用いたりしてはならない名称独占資格でもある。
獣医師法では、動物の診療や保健衛生指導などを通して、次の三つに寄与することが使命とされている。
動物の保健衛生
畜産業の発展
公衆衛生の向上
また、獣医師資格を保有していても所定の届出を行っていない場合は臨床に携わることができない。具体的には、獣医師が飼育動物の診療の業務を行うため、診療施設を開設した場合は獣医療法第3条により、その開設の日から十日以内に、当該診療施設の所在地を管轄する都道府県知事に農林水産省令で定める事項を届け出なければならない。また、往診のみによって診療を行う獣医師については、獣医療法第7条によりその住所を診療施設とみなして、第3条の規定が適用される。
臨床獣医師
小動物臨床獣医師
住宅地等で自ら動物病院など小動物診療施設を開設、または既存の小動物診療施設に雇用されて勤務し犬、猫、エキゾチックアニマルなどを対象として診療行為を行なう小動物臨床、いわゆるペット病院の獣医師。
都市部で生活する人々の多くにとって、単に「獣医師」というとこのような小動物臨床の獣医師だけを連想しがちだが、獣医師免許を持つ者全体のうち小動物臨床の獣医師が占める割合は、都道府県別で最も高い東京都でも約6割程度でしかない。日本全国で見た場合でも全体の4割程度しかなく、残りは、これ以降記述されている各分野の獣医師である。
なお獣医師は診療した場合、診療簿(医師の診療録にあたる)にその事実を記載しなければならない。
産業動物臨床獣医師
農村地域等で自ら診療施設を開設するか農業共済組合または農業協同組合等に勤務して周辺の畜産農家に往診し、牛や豚・鶏などの産業動物を対象とする診療行為のほか、ワクチン接種及び消毒など伝染病予防の衛生指導といった予防衛生業務を行なう獣医師。最近では動物福祉や畜産物のトレーサビリティに関する指導を行う例もあり、企業形態の畜産農場に雇用されて勤務している者もこの範疇に入る。
農村地域で自ら診療施設を開設した産業動物臨床の獣医師が、往診先の農家で飼われているペットの診療を行なうことは法的に何ら問題ないため、近隣に小動物臨床獣医師がいないような地域ではそのようなケースも意外と多い。しかし近年では畜産農家の戸数及び家畜の飼養頭羽数の減少などにより、従事者の減少が深刻化している。
その他の臨床獣医師
競馬場や競走馬の育成牧場、日本中央競馬会(JRA)など馬の関連施設に勤務する馬専門の臨床獣医師。
動物園や水族館に勤務し、そこの展示動物を対象とする臨床獣医師。
製薬会社などで飼養される実験動物の健康管理を行う獣医師。
競馬及び動物園関連分野は、関係施設の数や従事者の需要そのものが少ないことから、就職が困難とされている。
国家公務員としての獣医師
獣医職としての採用がある省は厚生労働省および農林水産省の2つ。獣医系技術職員はⅠ種相当の行政官として採用される。幹部候補として、早い昇進が約束されている。
活躍の場所は本省、全国の空港や海港に設けられた「検疫所」や「動物検疫所」などである。なお検疫所は厚生労働省、動物検疫所は農林水産省の所管である。
「検疫所」は人の伝染病(感染症)の海外から日本国内への流入、及び日本国内から海外への流出を未然に防ぐ重要な機関であり、獣医師職員はこのうち輸入食品の確認検査の業務を担当している。
「動植物検疫所」では輸出入される生きた動物、食品以外の動植物製品に由来する伝染病・感染症の流出・流入を未然に防ぐ業務をしている。
地方公務員としての獣医師
「公務員の獣医師(行政獣医師)」の活躍の場は、農林水産行政(家畜保健衛生所など農林水産省の法令を所管)と、公衆衛生行政(保健所、食肉衛生検査所など厚生労働省の法令を所管)とに大別される。公務員全体として見た場合のポストは狭いため、国家公務員などと比較すると昇進は遅い。
大抵は採用時点で農林水産・公衆衛生のどちらかに属することとなるが、業務の性質上人事異動を避けて通ることは出来ないため、どこへ異動してもすぐに異なる業務に従事できなければならない(例:本庁⇔出先機関(保健所、動物管理施設など))ため、常に高度な獣医学的知識と技術を要求される。また業務内容により根拠法令も多岐にわたることから、これら法令を含めた幅広い視野と知識並びに一般常識が同時に要求される。また、他分野を専門とした職員との連携も大切である。
なお、公立の動物園・水族館などを除いて動物の診療に従事することは非常に少ない。
「各都道府県庁」の畜産行政事務及び公衆衛生(と畜場や動物愛護法)行政事務を中心に、一部の県では林業の鳥獣保護及び狩猟許可行政事務や、水道行政事務(ネズミなどの駆除)に関わる者も少数ながら存在する。捕鯨が盛んだった時期は、近海捕鯨県の水産課(和歌山県や高知県)にも配属されていた。
「食肉衛生検査所」からと畜場へ出向き、食肉の検査を通じて食用の家畜の病態調査やO157・BSEなどの人獣共通感染症対策及び残留抗生物質対策に従事する者(と畜検査員)。
「保健所」において、食品衛生監視業務、環境衛生監視業務、薬事監視業務に従事する者(食品衛生監視員,環境衛生監視員および薬事監視員)。動物愛護施設が別にない場合は動物保護管理業務を含む。また、人獣共通感染症の専門家として感染症予防法に基づく業務にも従事する。
「動物愛護施設(自治体により名称は異なる)」において、狂犬病予防法や動物愛護法にもとづき保護された犬猫ほかの動物の管理・殺処分・譲渡、動物愛護普及啓発業務、及び動物取扱業や特定動物飼育施設の監視業務に従事する者(狂犬病予防員及び動物監視員)。なお化製場等に関する法律にもとづく届出は、通常保健所の所管であるが、動物愛護施設で取り扱う場合もある。
「衛生研究所(自治体により名称は異なる)」等の試験研究機関において、研究員として主に人の感染症や食品衛生に関する研究・検査業務に従事する者。
「家畜保健衛生所」において、BSEや口蹄疫ならびに高病原性鳥インフルエンザをはじめとする家畜の感染症など、生産性に悪影響を及ぼす各種疾病の検査・診断業務及び予防対策に従事する者(家畜防疫員)。
「動物園や水族館」にて展示動物の診療を行なう獣医師であっても、その経営母体が都道府県や市町村などの地方公共団体であれば、同様に地方公務員となる。
「畜産試験場」において、家畜の改良増殖に従事する者。
「林業試験場」において、狩猟の監視・許可や野生動物の保護に従事する者(特に、関東地方の林業試験場に多く配属されている)。
「水産試験場」において、魚類をはじめとする水産動物・植物の改良増殖に従事する者(2010年8月現在、水産試験場における獣医師は三重県水産研究所以外には配属されていない)。
公務員獣医師の不足問題
食の安心・安全や、BSE・鳥インフルエンザなどの動物由来感染症に世間の注目が集まるとともに公務員獣医師、特に地方公務員獣医師の仕事量は年々増加している。しかし前述のとおり昇進の遅さに加えて肉体・精神ともに過酷な業務が多く、大半の都道府県における給与体系が事務職と同一であるなど待遇面の改善が遅れているため、新卒の獣医学生の多くが小動物臨床を志望する傾向が年々強まっている。そのため東京都・神奈川県・大阪府など大都市圏を除いた多くの県が定員割れであり、さらには団塊世代の大量退職による深刻な公務員獣医師の不足が生じている。ただし、近年では改善案として給付型奨学金や初任給調整手当を支給する都道府県が増加している。(初任給調整手当は平成24年度で25都道府県で支給)[3] また、福岡県における「特定獣医師職給料表」の新設のように、同じく6年制である学部を卒業した医師と同様の待遇が必要とされている。
私立獣医科大学協会会長政岡俊夫による「我が国における獣医師の需給見通し等について(意見)」(2013年2月)によれば、日本の獣医師数全体に不足はなく「むしろ供給過剰になる可能性(p.1)」があるとしながらも、公務員獣医師就職者については地域偏在が課題となっていることを認めており、「獣医師が担当していて他の職種と入れ替えることが可能な公的業務は相当にあります。(中略)欧米のような食肉検査補助員制度が我が国にも導入されれば、地方における公衆衛生獣医師の需要は激減します。(p.2)」「公衆衛生分野において欧米並みのスーパーバイザー的な制度の確立が出来上がれば、公務員獣医師の需要の激減も予測されます。(p.2)」などと提言している[4]。
民間企業の獣医師
民間企業のうち、乳業・食肉・家畜飼料等の関連企業では営業や品質管理、製薬関連企業及び独立行政法人を含む各種の研究施設では、研究や検査のほかに実験動物の生産や管理を行う獣医師も置かれる。また、慢性的な獣医師不足はこれら研究施設を悩ませている。
公務員の多くと同様に臨床業務に携わる事は無いが、公務員と違って、企業によっては必ずしも獣医師免許を必要としない場合もある。
関連法規
獣医師法
獣医療法
医薬品医療機器等法
毒物及び劇物取締法
覚せい剤取締法
麻薬及び向精神薬取締法
動物の愛護及び管理に関する法律
鳥獣の保護及び狩猟の適正化に関する法律
絶滅のおそれのある野生動植物の種の保存に関する法律
特定外来生物による生態系等に係る被害の防止に関する法律
家畜伝染病予防法
牛海綿状脳症対策特別措置法
牛の個体識別のための情報の管理及び伝達に関する特別措置法
飼料の安全性の確保及び品質の改善に関する法律
家畜保健衛生所法
家畜改良増殖法
家畜排せつ物の管理の適正化及び利用の促進に関する法律
感染症の予防及び感染症の患者に対する医療に関する法律
狂犬病予防法
と畜場法
食鳥処理の事業の規制及び食鳥検査に関する法律
化製場等に関する法律
食品安全基本法
食品衛生法
家畜商法
イギリスの獣医師
獣医師免許のイギリスにおける認可・規制機関は王立獣医師会 (Royal College of Veterinary Surgeons;RCVS)である[1]。イギリス、EU、オーストラリア、ニュージーランドの獣医大学の卒業者はRCVSの獣医師免許取得の有資格者である[1]。また、米獣医学協会(American Veterinary Medical Association;AVMA)認可大学の卒業者もRCVSの獣医師免許取得の有資格者である[1]。それ以外の者はRoyal College of Veterinary Surgeons Membership Examinationの受験が必要となる[1]。
アメリカ合衆国の獣医師
獣医師免許のアメリカ合衆国における認可機関は米獣医学協会(American Veterinary Medical Association;AVMA)及び各州に設立されている獣医師会である[1]。
AVMA認可の獣医大学の卒業者はNAVLE北米獣医師免許試験(North American Veterinary Licensing Examination)に合格し、各州の獣医師免許試験を合格すればその州で獣医師に従事することができる[1]。
カナダの獣医師
獣医師免許のカナダにおける認可機関はカナダ獣医学協会(Canadian Veterinary Medical Association;CVMA)である[1]。
著名な獣医師・獣医学博士
三浦雄一郎
北海道大学獣医学部卒業
北海道大学獣医学部に助手、農事試験場で獣医師として勤務経験を経て、プロスキーヤー及び登山家となる。
ギネスブックにエベレスト最高齢登頂者として認定される。
三塚博
東京高等獣医学校(現日本大学生物資源科学部)卒業
政治家(元・大蔵大臣、元・外務大臣)。獣医師免許を持つ、日本唯一の国務大臣であった。
城島光力
東京大学農学部卒業
政治家(元・財務大臣)。
北村直人
酪農学園大学獣医学部卒業
政治家(元・農林水産副大臣、元・内閣官房副長官)。獣医師としての臨床経験を持つ、日本唯一の衆議院議員であった。
山際大志郎
山口大学農学部卒業
政治家(元・経済産業副大臣)。
獣医師 ピーター・ドハーティー
オーストラリア クイーンズランド大学獣医学部卒業
病理学に専攻をかえイギリス エジンバラ大学で医学博士号を取得
1996年 ノーベル生理学・医学賞受賞(細胞性免疫制御の特異性)
獣医学博士 ワンガリ・マータイ
ケニヤ ナイロビ大学獣医学博士号取得
2004年 ノーベル平和賞受賞(持続可能な発展、民主主義、および平和への貢献)
獣医師を題材にした作品
小説・エッセイ等
『ヘリオット先生奮戦記』等
『バスター先生と小さな仲間たち―イギリス獣医師の動物日記』
『獣医さんのお仕事 in 異世界』
コミック
『動物のお医者さん』(ドラマ化)
『獣医ドリトル』(ドラマ化)
『MF動物病院日誌』
『おいでよ 動物病院!』
『ワイルドライフ』(ドラマ化)
『IWAMAL岩丸動物診療譚』
『ホットDOC』
『寄性獣医』
『獣医さん、事件ですよ』(ドラマ化)
『動物病院わんにゃん事件簿 ハートのしっぽ』
関連項目
船舶に乗り組む衛生管理者
獣医学
動物看護師
動物病院
動物介護士
農学部
獣医学部
愛護動物
家畜防疫官
獣医事審議会
アニマルレスキュー
日本の動物に関する資格一覧
加計学園問題
脚注
外部リンク
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E7%8D%A3%E5%8C%BB%E5%B8%AB |
{
"plaintext_start_byte": [
3,
1244,
2228,
2946,
3235,
3583,
4699,
5198,
5831,
6190,
6878,
7343,
7726,
8295,
8764,
9781,
10655,
11259,
11671,
12449,
12497,
13837,
14868,
15670,
16453,
17396,
18262,
18495,
19290,
20167,
20971,
21795,
22458,
23879,
25700,
26134,
27040,
27985,
29155,
29574,
30430,
30993
],
"plaintext_end_byte": [
1243,
2217,
2945,
3226,
3582,
4698,
5197,
5830,
6189,
6876,
7342,
7725,
8265,
8763,
9780,
10648,
11258,
11670,
12439,
12484,
13836,
14852,
15669,
16452,
17395,
18252,
18494,
19289,
20166,
20952,
21794,
22457,
23858,
25699,
26133,
27039,
27984,
29154,
29507,
30414,
30990,
31109
]
} | Kapan tanggal pembangunan Angkor Wat? | Angkor Wat | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
jmpl|250px|Angkor Wat saat matahari terbit.
Angkor Wat (Khmer: អង្គរវត្ត, "candi kota") adalah sebuah gugus bangunan candi di negara Kamboja yang merupakan salah satu monumen keagamaan terbesar di dunia. Candi yang berdiri di atas situs seluas 1.626.000 m2 (162,6 hektar atau 402 ekar)[1] ini mula-mula dibangun sebagai candi agama Hindu Kerajaan Khmer yang dibaktikan untuk dewa Wisnu, namun lambat laun berubah menjadi candi agama Buddha menjelang akhir abad ke-12. Angkor Wat dibangun oleh Raja Khmer Suryawarman II pada permulaan abad ke-12 di Yaśodharapura (Khmer: យសោធរបុរៈ, sekarang Angkor), ibu kota Kemaharajaan Khmer, sebagai candi negara sekaligus tempat persemayaman abu jenazahnya. Berbeda dari raja-raja pendahulunya yang berbakti kepada dewa Siwa, Raja Suryawarman II justru membangun Angkor Wat untuk dibaktikan kepada dewa Wisnu. Sebagai candi yang paling terawat di kawasan percandian Angkor, Angkor Wat merupakan satu-satunya candi yang masih menjadi pusat keagamaan penting semenjak didirikan. Mahakarya langgam klasik arsitektur Khmer ini telah menjadi salah satu lambang negara Kamboja,[2] ditampilkan pada bendera negara Kamboja, dan menjadi daya tarik wisata utama negara itu.[3]
Angkor Wat memadukan dua rancangan pokok arsitektur candi Khmer, yakni rancangan candi gunungan dan rancangan candi berserambi. Angkor Wat dirancang sebagai lambang Gunung Meru (kahyangan dewa-dewi Hindu) yang dikelilingi tiga undak bangunan serambi persegi panjang, dan masih dipagari lagi dengan tembok luar sepanjang 3,6 km (2,2 mil) berikut sebuah parit sepanjang lebih dari 5 km (3 mil).[4] Di tengah-tengah gugus bangunan candi ini, menjulang menara-menara yang membentuk tatanan quinquncia (tatanan lima objek yang membentuk lambang tapak dara, salah satunya terletak pada titik persilangan). Berbeda dari kebanyakan candi yang bertebaran di kawasan percandian Angkor, candi ini dibangun menghadap ke arah barat; para peneliti berbeda pendapat sehubungan dengan makna dari perbedaan ini. Angkor Wat dikagumi karena kemegahan dan keselarasan arsitekturnya, luasnya bidang yang dihiasi relief dangkal, dan sekian banyak sosok dewata yang terukir pada tembok-temboknya.
Etimologi
Nama modern untuk candi ini, yakni Angkor Wat (aksara Khmer: អង្គរវត្ត) atau Nokor Wat (aksara Khmer: នគរវត្ត),[5] berarti "candi kota" atau "kota candi" dalam bahasa Khmer. Kata "angkor" (aksara Khmer: អង្គរ) adalah bentuk ucapan masyarakat setempat untuk kata "nokor" (aksara Khmer: នគរ), yang berarti "kota" atau "ibu kota" dalam bahasa Khmer. Kata "nokor" berasal dari kata "nagara" (aksara Dewanagari: नगर) yang berarti "kota" dalam bahasa Sanskerta.[6] Kata "wat" (aksara Khmer: វត្ត), yang berarti "lingkungan candi" dalam bahasa Khmer, berasal dari kata "wāṭa" (aksara Dewanagari: वाट) yang berarti "lingkungan" dalam bahasa Sanskerta.[7]
Nama asli candi ini adalah Preah Pisnulōk (Sanskrit: वरविष्णुलोक, Warawiṣṇuloka) atau Barom Pisnulōk (aksara Khmer: បរមវិស្ណុលោក; Sanskrit: परमविष्णुलोक, Paramawiṣṇuloka) yang berarti kahyangan Wisnu.
Sejarah
Angkor Wat terletak 5,5 km di sebelah utara kota modern Siem Reap. Candi ini juga berada tidak jauh di sebelah selatan dan agak ke timur dari bekas ibu kota Khmer yang berpusat di candi Baphuon. Angkor Wat sendiri berlokasi di kawasan percandian Angkor, dan juga merupakan candi paling selatan dari antara candi-candi lainnya di kawasan tersebut.
Rintisan rancangan dan pembangunan candi dimulai pada paruh pertama abad ke-12 Masehi, pada masa pemerintahan raja Suryawarman II (memerintah pada 1113 – sekitar 1150).[8] Dipersembahkan untuk memuliakan Wisnu, candi ini dibangun sebagai candi agung negara milik raja sekaligus sebagai ibu kota. Karena prasasti yang menyebutkan pembangunannya belum ditemukan, maka nama asli candi ini tidak diketahui. Ditafsirkan candi ini mungkin aslinya disebut sebagai "Preah Pisnu-lok" (Bahasa Khmer Kuno, serapan dari bahasa Sanskerta: "Wara Wisnuloka") secara harfiah bermakna "Tempat Suci Wisnu", diambil dari nama dewa utama yang dimuliakan di candi ini. Proyek pembangunan sepertinya dihentikan segera setelah kematian raja, menyisakan beberapa relief rendah yang belum rampung.[9] Pada 1177, kira-kira 27 tahun setelah kematian Suryawarman II, Angkor diserang oleh bangsa Champa, musuh tradisional bangsa Khmer. Kemudian kerajaan Khmer dipulihkan kembali oleh raja baru Jayawarman VII, yang mendirikan ibu kota baru di Angkor Thom dan candi kerajaan baru di Bayon, yang terletak beberapa kilometer di utara Angkor Wat.
Menjelang akhir abad ke-13, Angkor Wat perlahan-lahan dialihfungsikan dari candi Hindu menjadi candi Buddha Theravada, dan candi ini masih difungsikan seperti ini hingga kini. Angkor Wat agak tidak biasa dibandingkan candi-candi lainnya di Angkor; meskipun agak ditelantarkan setelah abad ke-16, Angkor Wat tidak pernah benar-benar ditinggalkan. Angkor tetap bertahan antara lain salah satunya karena parit yang mengelilinginya melindungi bangunan candi dari rongrongan pohon besar hutan rimba.[10]
Salah satu pengunjung Barat pertama yang mendatangi candi ini antara lain adalah António da Madalena, seorang biarawan Katolik Portugis yang mengunjunginya pada tahun 1586 dan berkata, "Sebuah bangunan luar biasa yang tak mungkin digambarkan dengan pena, terutama karena tidak ada bangunan lain di dunia ini yang menyerupainya. Bangunan ini memiliki menara dengan hiasan yang sangat indah yang hanya bisa diciptakan oleh manusia jenius."[11] Pada pertengahan abad ke-19, candi ini dikunjungi oleh ilmuwan dan penjelajah Perancis, Henri Mouhot, yang memperkenalkan situs ini ke dunia Barat melalui catatan perjalanannya. Ia menulis:
"Candi ini—yang menyaingi [kemegahan] Kenisah Salomo dan dibangun oleh Michelangelo purba—pantas menduduki tempat terhormat sebagai salah satu bangunan terindah [di dunia]. Bangunan ini lebih besar dari segala peninggalan Yunani atau Romawi, dan menyajikan kontras yang sangat menyedihkan dengan kondisi kini yang jatuh terpuruk ke dalam kebiadaban."[12]
Mouhot, seperti kebanyakan pengunjung Barat, sulit memercayai bahwa bangsa Khmer mampu membangun candi semegah ini, secara keliru memperkirakan waktu pembangunannya sezaman dengan era Romawi Kuno. Sejarah sebenarnya dari Angkor Wat secara perlahan dirangkaikan kembali dengan mempelajari gaya arsitektur serta bukti epigrafi tertulis pada prasasti, yang diperoleh selama pembersihan di sekitar situs Angkor. Penggalian di sekitar situs Angkor Wat tidak menemukan sisa-sisa permukiman seperti bekas rumah hunian atau bukti hunian lainnya seperti perabot memasak, senjata, atau bekas pakaian yang biasa ditemukan di situs purbakala. Hanya monumen inilah yang ditemukan di kawasan ini.[13]
Angkor Wat menjalani pemugaran besar pada abad ke-20, kebanyakan di antaranya adalah pembersihan jeratan tumbuhan dan tumpukan tanah yang menutupi bangunan.[14] Proyek pemugaran sempat terhenti akibat perang saudara dan kendali rezim Khmer Merah atas Kamboja pada dasawarsa 1970-an dan 1980-an, akan tetapi sangat sedikit kerusakan yang ditimbulkan pada periode ini, yang kebanyakan adalah penjarahan dan pencurian serta perusakan pada arca setelah era Angkor.[15]
Candi ini merupakan simbol yang penting bagi negara Kamboja.[16] Angkor Wat merupakan kebanggaan nasional dan menjadi faktor penting bagi hubungan diplomatik luar negeri antara Kamboja dengan Perancis, Amerika Serikat, dan Thailand. Penggambaran Angkor Wat dalam bendera nasional Kamboja telah mulai ditampilkan sejak diperkenalkannya bendera perdana Kamboja sekitar tahun 1863.[17]
Warisan kesenian yang agung dari Angkor Wat dan monumen Khmer lainnya di kawasan Angkor telah mendorong Perancis untuk memasukkan Kamboja sebagai protektorat Perancis pada 11 Agustus 1863 dan menyerang kerajaan Siam untuk merebut kendali atas kawasan reruntuhan candi ini. Maka dari itu, Kamboja dapat menguasai kembali kawasan di sudut barat laut yang dikuasai Siam sejak tahun 1351, atau menurut sumber lain dari tahun 1431.[18] Kamboja meraih kemerdekaan dari Perancis pada 9 November 1953 dan sejak saat itu menguasai candi Angkor Wat.
Arsitektur
Situs dan denah
Angkor Wat, yang terletak di , adalah kombinasi unik rancangan candi gunungan, desain standar untuk candi negara kekaisaran dan kemudian denah galeri konsentris. Candi tersebut adalah representasi dari Meru, tempat para dewa: menara kwinkunks tengah melambangkan lima puncak bukit, dan dinding dan parit melambangkan barisan bukit dan samudra.[19] Akses ke kawasan paling atas candi tersebut semakin lebih eksklusif, namun kaum awam hanya boleh ke lantai terbawah.[20]
Tidak seperti kebanyakan candi-candi Khmer, Angkor Wat menghadap ke barat ketimbang timur. Hal ini telah membuat banyak orang (termasuk Glaize dan George Cœdès) menyimpulkan bahwa Suryawarman membuatnya untuk digunakan sebagai candi tempat penguburannya.[21] Bukti lebih lanjut untuk pandangan ini adalah dengan disediakannya relief dasar, yang dibuat dalam arah berlawanan jarum jam—prasawya dalam terminologi Hindu—karena ini adalah kebalikan dari penataan pada umumnya. Ritual berlangsung dalam penataan berlawanan saat pemakaman bercorak Brahminik.[14] Arkeolog Charles Higham juga menjelaskan suatu wadah yang mungkin telah menjadi tempat penguburan yang dilakukan di menara pusat.[22] Candi ini telah diyakini oleh beberapa orang sebagai pengeluaran terbesar untuk pemakaman mayat.[23] Namun, Freeman dan Jacques menyatakan bahwa beberapa candi Angkor lainnya menghadap ke timur, dan menunjukan bahwa keselarasan Angkor Wat adalah karena untuk didedikasikan kepada Wisnu, yang dikaitkan dengan barat.[19]
Sebuah interpretasi lebih lanjut dari Angkor Wat telah diusulkan oleh Eleanor Mannikka. Penggambaran pada keselarasan candi dan dimensi, dan pada isi dan susunan relief dasar, ia berargumen bahwa struktur tersebut menunjukan sebuah klaim era baru yang damai di bawah Raja Suryawarman II: "sebagai pengukuran siklus waktu matahari dan bulan yang dibangun di ruang suci Angkor Wat, mandat ilahi ini sampai peraturan yang dibawa ke ruang bakti dan koridor dimaksudkan untuk melanggengkan kekuasaan raja dan untuk menghormati dan menentramkan para dewa yang dimanifestasikan berada di atas langit."[24][25] Penyataan Mannikka ini telah diterima dengan percampuran kepentingan dan skeptisisme di kalangan akademisi.[22] Ia menjauhkan diri dari spekulasi lain, seperti Graham Hancock, yang menyatakan bahwa Angkor Wat adalah bagian dari representasi rasi bintang Draco.[26]
Gaya
Angkor Wat adalah contoh utama gaya klasik arsitektur Khmer—gaya Angkor Wat—yang berasal dari nama candi tersebut. Arsitek Khmer abad ke-12 telah memiliki keahlian dan kepercayaan diri dalam menggunakan batu pasir (bukan batu bata atau laterit) sebagai material pembangunan utama. Sebagian besar kawasan yang terlihat menggunakan blok batu pasir, sementara laterit digunakan untuk dinding luar dan untuk bagian struktural tersembunyi. Bahan perekat yang digunakan untuk menggabungkan blok batu tersebut belum teridentifikasi, meskipun diperkirakan mengandung resin atau kalsium hidroksida alami.[27]
Angkor Wat telah menuai pujian berkat semua harmoni desain tersebut, yang dianggap setara dengan arsitektur Yunani dan Romawi Kuno. Menurut Maurice Glaize, seorang konservator Angkor pertengahan abad ke-20, candi tersebut "mencapai kesempurnaan klasik oleh monumentalitas pengendalian elemen, keseimbangan, dan pengaturan yang tepat dari proporsinya. Ini adalah sebuah karya kekuasaan, persatuan, dan gaya."[28]
Arsitekturnya memiliki elemen unsur-unsur ciri-ciri yang meliputi: ogival, menara dengan bentuk bergelombang seperti kuncup teratai; setengah galeri yang memperluas lorong-lorong; galeri aksial yang menghubungkan pagar; dan teras berbentuk palang yang terdapat di sepanjang bagian utama candi tersebut. Gaya elemen dekorasi tersebut adalah dewata (atau bidadari), relief dasar, dan pedimen karangan bunga yang luas dan gambaran naratif. Patung-patung di Angkor Wat dianggap konservatif, menjadi lebih statis dan kurang anggun dari karya sebelumnya.[29] Elemen lainnya dari desain tersebut telah hancur oleh penjarahan dan faktor usia, termasuk stuko berlapis emas pada menara, penyepuhan pada beberapa figur di relief dasar, dan panel langit-langit dan pintu kayu.[30]
Tampilan
jmpl|Angkor Wat dilihat dari udara.
Tampak luar
Dinding luar, yang berukuran 1024 x 802 m dan ketinggian 4,5 m, dikelilingi oleh halaman terbuka sepanjang 30 m dan parit seluas 190 m. Akses ke candi tersebut adalah melalui tepian ke timur dan jalan lintas batu pasir ke barat; yang terakhir, pintu masuk utama, adalah kemungkinan tambahan, mungkin menggantikan jembatan kayu.[31] Terdapat gapura pada masing-masing mata angin; di arah barat terdapat gapura yang paling besar dan memiliki tiga reruntuhan menara. Glaize menyatakan bahwa gapura tersebut memiliki dinding dan bentuk candi yang tepat.[32] Di bawah menara selatan terdapat patung Wisnu, yang dikenal sebagai Ta Reach, yang mungkin pada awalnya berasal dari candi pusat.[31] Sepanjang galeri antara menara dan dua pintu keluar-masuk di kedua sisi gapura sering disebut sebagai "gerbang gajah", karena objek-objek tersebut cukup besar untuk disetarakan dalam ukuran hewan. Galeri-galeri tersebut memiliki pilar persegi pada bagian luar (barat) dan dinding tertutup pada bagian dalam (timur). Langit-langit antara pilar-pilar tersebut dihiasi dengan gambar bunga teratai; wajah dinding barat dengan figur penari; dan wajah dinding timur dengan jendela baluster, figur penari laki-laki dengan hewan yang berjingkrak, dan dewata, termasuk (selatan dari pintu masuk) hanya satu pada candi tersebut untuk menampilkan bagian giginya.
Dinding luar mengelilingi ruang berukuran 820.000 meter persegi (203 hektare), yang selain candi tersebut yang pada awalnya berada di kota dan, di sebelah utara candi tersebut, istana kerajaan. Seperti seluruh bangunan sekuler Angkor, bangunan ini dibuat dari material yang mudah rusak ketimbang batu, sehingga tidak ada yang tersisa dari mereka kecuali garis-garis besar di beberapa jalan.[33] Saat ini, sebagian besar wilayah tersebut telah ditutupi hutan. Sebuah jalan lintas sepanjang 350 m menghubungkan gapura barat ke candi tersebut, dengan langkan naga dan enam rangkaian anak tangga yang menuju ke sebuah kota pada kedua sisinya. Masing-masing bagian juga memiliki perpustakaan dengan pintu masuk di setiap mata angin, di depan rangkaian anak tangga ketiga dari pintu masuk, dan sebuah kolam antara perpustakaan dan candi itu sendiri. Kolam tersebut merupakan tambahan dari desain tersebut, seperti halnya teras berbentuk palang yang dijaga oleh singa yang menghubungkan jalan lintas ke stuktur tengah.[33]
Struktur pusat
Candi tersebut berdiri di atas teras yang membuatnya menjadi lebih tinggi ketimbang kota. Candi ini dibuat dari tiga galeri persegi panjang ke arah menara pusat, setiap naik ke lantai yang lebih tinggi sampai yang terakhir. Mannikka menafsirkan galeri ini sebagai dedikasi kepada raja, Brahma, bulan, dan Wisnu.[9] Setiap galeri memiliki gapura di masing-masing titik, dan dua galeri pusat masing-masing memiliki sejumlah menara di setiap sudut mereka, membentuk kwinkunks dengan menara pusat. Karena kompleks candi ini manghadap ke barat, fitur seluruh set bangunan agak condong didorong ke timur, meninggalkan ruang yang lebih luas untuk diisi di setiap bagian dan galeri di sisi barat. Untuk alasan yang sama ruang-ruang di sisi lain; di timur, utara, dan selatan lebih sempit daripada sisi barat.
Galeri tersebut berukuran 187 x 215 m, dengan paviliun pada menara di setiap sudut. Galeri ini berada di bagian candi tersebut, dengan bentuk kolom setengah galeri untuk memperluas dan memperkuat struktur. Sebuah biara berbentuk palang yang disebut Preah Poan ("Gedung Ribuan Dewa") menghubungkan galeri luar ke bagian luar di sisi barat. Terdapat gambaran Buddha yang disisakan di biara oleh peziarah selama berabad-abad, meskipun sebagian besar kini telah dihapus. Area ini memiliki banyak inskripsi yang berkaitan dengan perbuatan baik para peziarah, yang ditulis dalam bahasa Khmer namun yang lainnya dalam bahasa Burma dan Jepang. Empat halaman kecil yang ditandai oleh biarawan mungkin awalnya diisi dengan air.[34] Di sebelah utara dan selatan terdapat bangunan perpustakaan.
Di tempat lain, galeri pusat dan kedua terhubung satu sama lain dan dua perpustakaan terapit oleh teras berbentuk palang lainnya, yang ditambahkan kemudian. Dari lantai dua ke atas, ukiran dewata banyak ditemukan di dinding atas, baik sendiri atau berkelompok sampai berjumlah empat. Bagian lantai dua berukuran 100 x 115 m, dan mungkin pada awalnya telah digunakan untuk mewakili samudra di sekeliling Meru.[35] Tiga rangkaian anak tangga di setiap sisi mengarah ke menara dan gapura sudut di galeri pusat. Curamnya susunan anak tangga menggambarkan betapa sulitnya naik ke kerajaan para dewa.[36] Galeri pusat tersebut, yang disebut Bakan, berukuran 60 m persegi dengan galeri poros menghubungkan setiap gapura dengan kuil pusat, dan sejumlah anak kuil yang terletak di bawah menara sudut. Atap galeri dihiasi dengan motif tubuh seekor naga berujung kepala singa atau garuda. Ukiran lintel dan pedimen menghiasi pintu masuk galeri dan kuil.
Menara di atas kuil pusat menjulang pada ketinggian 43 m sampai 65 m dari permukaan tanah; tidak seperti menara yang berada di bukit candi sebelumnya, menara pusat dibuat lebih tinggi dari empat menara disekitarnya.[37] Pada candi pusat aslinya berdiri arca Wisnu dalam ruangan utama dengan pintu yang terbuka di setiap sisinya, namun kemudian dibuatkan dinding ketika candi Hindu tersebut dialihkan fungsinya menjadi candi Buddha Theravada. Dinding baru tersebut menampilkan Buddha yang tengah berdiri. Pada tahun 1934, konservator George Trouvé menggali lubang tepat di bawah candi pusat yang telah ditimbun dengan pasir dan air, dan menemukan bahwa harta relik suci yang seharusnya terdapat di dalam peti batu peripih telah hilang dirampok. Namun ia menemukan kandungan kertas emas di lantai bawah pada jangkauan dua meter di bawah permukaan tanah.[38]
Dekorasi
jmpl|kiri|Dewata adalah ciri-ciri dari gaya Angkor Wat.
jmpl|Relief dasar Pengadukan Samudra Susu menampilkan Wisnu di tengah, penyu Kurma awatara di bawah, asura dan dewa di sebelah kiri dan kanan, serta bidadari dan Indra di atas.
Dekorasi Angkor Wat yang sebagian besar berupa relief rendah, termahsyur keindahannya secara luas karena sangat serasi dengan arsitektur bangunan. Dinding bagian dalam pada galeri luar menampilkan berbagai adegan berskala besar terutama gambaran bagian-bagian dari epik Hindu Ramayana dan Mahabarata. Higham menyebutnya "susunan linear terbesar yang dikenal sebagai ukiran batu".[39] Dari barat laut berlawanan arah jarum jam, galeri barat menampilkan Pertempuran Lanka (dari Ramayana, menampilkan tentang Rama melawan Rahwana) dan Pertempuran Kurukshetra (dari Mahabharata, memperlihatkan perselisihan antara kelompok Kurawa dan Pandawa). Pada galeri selatan mengikuti satu-satunya gambaran sejarah, sebuah prosesi Suryawarman II, terdapat gambaran 32 neraka dan 37 surga dalam mitologi Hindu.
Pada galeri timur terdapat salah satu gambaran adegan paling terkenal yang disebut Pengadukan Samudra Susu, memperlihatkan 92[40] asura dan 88 dewa memakai ular Wasuki untuk mengaduk samudra susu di bawah pengarahan Wisnu (Mannikka hanya menghitung 91 asura, dan menjelaskan nomor asimetris sebagai perwakilan jumlah hari dari titik balik matahari musim dingin sampai ekuinoks musim semi, dan dari ekuinoks sampai titik balik matahari musim panas).[41] Diikuti dengan gambaran Wisnu bertempur melawan asura (tambahan dari abad ke-16). Galeri utara menampilkan kemenangan Kresna melawan Bana (dimana menurut Glaize, "Pengerjaannya adalah yang paling buruk"[42]) dan pertempuran antara dewa Hindu dan asura. Bagian barat laut dan barat daya paviliun kedua menampilkan adegan berskala lebih kecil, beberapa tak teridentifikasi tapi kebanyakan dari Ramayana atau kehidupan Kresna.
Angkor Wat didekorasi dengan gambar apsara dan dewata; terdapat lebih dari 1.796 gambaran dewata dalam inventaris penelitian saat ini.[43] Arsitek Angkor Wat membuat gambar apsara kecil (30–40cm) sebagai motif dekorasi pilar dan dinding. Mereka memasukan gambar dewata besar (seluruh lukisan bertubuh utuh berukuran sekitar 95–110cm) lebih menonjol di setiap tingkatan candi dari tempat masuk paviliun sampai bagian atas menara tinggi. Pada tahun 1927, Sappho Marchal menerbitkan sebuah katalog studi tentang keanekaragaman yang luar biasa dari tata rambut, hiasan kepala, pakaian, sikap tubuh dan tangan, perhiasan, dan dekorasi bunga para apsara. Kemudian disimpulkan oleh Marchal, bahwa hal ini didasarkan pada praktik tata rias dan berbusana sebenarnya dari periode Angkor.[44]
Teknik konstruksi
Sejumlah batu dipoles sehalus marmer, dan ditumpuk tanpa perekat mortar dengan sangat rapat dan rapi, sehingga kadang-kadang sukar ditemukan sambungannya. Dalam beberapa kasus, blok-blok disatukan secara bersamaan oleh sendi purus dan lubang, sementara yang lainnya menggunakan teknik pengunci ekor burung dan tekanan gravitasi. Blok ini mungkin diangkut dan dipasang dengan menggunakan bantuan gajah, tali sabut, katrol, dan perancah bambu. Henri Mouhot menyatakan, bahwa sebagian besar blok memiliki lubang selebar 2,5 cm dan sedalam 3 cm, dengan lebih banyak lubang pada blok yang lebih besar. Beberapa sarjana menyatakan bahwa lubang tersebut digunakan untuk penggabungan batu dengan menggunakan batang besi, namun pendapat lainnya menyatakan bahwa penggabungan tersebut menggunakan pasak untuk membantu pengerjaannya.
Monumen ini terbuat dari batu pasir yang banyak sekali, sebanyak batu yang digunakan piramida Khafre di Mesir (lebih dari 5juta ton). Batu pasir ini diangkut dari dari Bukit Kulen, sekitar 25 miles (40km) dari timur laut. Batu ini mungkin diangkut menggunakan rakit sepanjang sungai Siem Reap. Hal ini dilakukan dengan hati-hati untuk menghindari terbaliknya rakit akibat berat batu yang diangkut. Salah satu insinyur modern memperkirakan akan menghabiskan waktu sepanjang 300 tahun untuk menyelesaikan Angkor Wat saat ini.[45] Namun monumen tersebut dibangun setelah Suryawarman naik tahta dan diselesaikan tak lama setelah kematiannya, tak lebih dari 40 tahun.
Hampir semua permukaannya, kolom, lintel bahkan atap dibuat dengan cara diukir. Beberapa relief menggambarkan adegan dari sastra India termasuk unicorn, griffin, naga bersayap yang menarik kereta serta prajurit diikuti dengan pemimpin perang yang menaiki gajah dan sejumlah gadis penari di atas langit dengan gaya rambut yang rumit. Dinding galeri sendiri dihias dengan relief rendah berukuran 1.000 meter persegi. Lubang pada beberapa dinding Angkor menunjukan bahwa dinding tersebut mungkin dihias dengan kertas perunggu. Hal tersebut merupakan benda berharga pada zaman kuno dan merupakan target utama para penjarah. Sementara penggalian yang dilakukan di Khajuraho oleh Alex Evans, seorang tukang batu dan pematung, menemukan sebuah patung batu di bawah 4 feet (1.2m), yang memakan waktu sekitar 60 hari untuk pengukiran.[46] Roger Hopkins dan Mark Lehner pernah melakukan percobaan menggunakan batu kapur yang ditambang dari 12 penggalian selama 22 hari dengan berat sekitar 400 ton.[47] Tenaga kerja pada penambangan, transportasi, ukiran dan pemasangan menggunakan ribuan batu pasir yang harus diangkut, termasuk memerlukan kemampuan seni tinggi lainnya. Keterampilan yang diperlukan untuk mengukir patung-patung tersebut telah dikembangkan selama ratusan tahun sebelumnya, seperti yang ditunjukan oleh beberapa artefak yang berasal dari abad ketujuh, sebelum Kerajaan Khmer berkuasa.[23][45]
Angkor Wat sekarang
jmpl|Video Yayasan Monumen Dunia di konservasi Angkor Wat.
Badan Survei Arkeologi India melakukan kegiatan restorasi pada candi antara 1986 dan 1992.[48] Upaya konservasi lanjutan dan peningkatan masif dalam pariwisata pada situs Angkor Wat telah terlihat sejak era 1990-an. Candi ini merupakan bagian dari Situs Warisan Dunia Angkor, didirikan pada tahun 1992, yang telah memberikan sejumlah dana dan telah mendorong pemerintah Kamboja untuk melindungi situs tersebut.[49] German Apsara Conservation Project (GACP) telah bekerja untuk melindungi dewata dan relief dasar lainnya yang menghiasi candi tersebut dari kerusakan. Survei sebuah organisasi menunjukan bahwa sebanyak 20% dewata berada dalam kondisi sangat memprihatinkan, umumnya dikarenakan erosi alami dan kerusakan batu namun sebagian juga karena upaya restorasi sebelumnya.[50] Pekerjaan lainnya melibatkan perbaikan bagian yang runtuh dari struktur, dan pencegahan keruntuhan lebuh lanjut: bagian barat di lantai atas contohnya, telah ditopang oleh penyangga sejak 2002,[51] sementara tim Jepang menyelesaikan restorasi perpustakaan utara dari bagian luar pada tahun 2005.[52] Yayasan Monumen Dunia mulai melakukan kegiatan konservasi di Galeri Pengadukan Lautan Susu pada tahun 2008 setelah beberapa tahun mempelajari kondisinya. Proyek pemugaran ini meliputi pemulihan sistem bangunan tradisional Khmer dan membersihkan batu dari rekatan semen dari proyek pemugaran sebelumnya. Penggunaan semen sebagai perekat batu pada pemugaran sebelumnya adalah kesalahan yang telah mengakibatkan garam mineral terbawa air hujan terselip memasuki struktur dibalik relief. Hal ini menimbulkan perubahan warna dan kerusakan pada permukaan pahatan. Fase utama kerja berakhir pada tahun 2012, dan pemasangan komponen terakhir puncak atap galeri dilakukan pada tahun 2013.
Mikroba biofilm ditemukan merusak batu pasir di Angkor Wat, Preah Khan, dan Bayon dan Prasat Barat di Angkor. Dehidrasi dan radiasi filamen resisten cyanobakteria dapat memproduksi asam organik yang merusak batu. Sebuah jamur filamen gelap ditemukan dalam sampel Preah Khan bagian dalam dan luar, sedangkan alga Trentepohlia ditemukan hanya dalam sampel yang diambil dari bagian luar, serta batu bernoda merah muda di Preah Khan.[53]
Angkor Wat menjadi tujuan pariwisata utama. Pada tahun 2004 dan 2005, data pemerintah menunjukan bahwa sekitar 561.000 dan 677.000 wisatawan luar negeri datang ke provinsi Siem Reap, sekitar 50% dari seluruh wisatawan luar negeri yang mengunjungi Kamboja di kedua tahun tersebut.[54] Situs tersebut telah dikelola oleh kelompok swasta SOKIMEX sejak 1990, yang disewa dari pemerintah Kamboja. Masuknya wisatawan sejauh ini telah menyebabkan kerusakan yang relatif kecil, selain beberapa grafiti; tali dan tangga kayu telah dipakai untuk melindungi setiap bagian relief dasar dan lantai. Pariwisata juga telah memberikan sejumlah dana untuk perawatan utama — seperti pada tahun 2000 sekitar 28% dari penjualan tiket di seluruh situs Angkor digunakan untuk perawatan candi — meskipun sebagian besar pekerjaan dilakukan oleh tim yang disponsori oleh pemerintah luar negeri ketimbang otoritas Kamboja.[55]
Pertumbuhan pariwisata secara signifikan telah terlihat dampaknya pada situs Angkor Wat sepanjang tahun. Karena itulah sebuah seminar untuk mendiskusikan konsep "wisata kebudayaan" digelar oleh UNESCO dan Komite Koordinasi Internasional untuk Pemeliharaan dan Pembangunan Situs Bersejarah Angkor, yang terkait dengan perwakilan dari Pemerintahan Kerajaan dan otoritas APSARA.[56] Untuk menghindari pariwisata komersial dan massal, seminar ini menekankan pentingnya penyediaan akomodasi dan layanan berkualitas tinggi agar pemerintah Kamboja mendapatkan keuntungan ekonomi, serta memadukannya dengan kekayaan budaya Kamboja.[56] Pada tahun 2001, gagasan ini menyebabkan terbentuknya konsep "Kota Pariwisata Angkor" yang akan mengembangkan hal-hal yang berkaitan dengan arsitektur tradisional Khmer, yakni pembangunan fasilitas rekreasi dan pariwisata, dan menyediakan hotel-hotel mewah yang mampu menampung para wisatawan dalam jumlah besar.[56]
Prospek pengembangan akomodasi pariwisata besar-besaran sepertinya telah menimbukan kekhawatiran otoritas APSARA dan ICC, yang mengklaim bahwa pengembangan pariwisata di daerah tersebut sebelumnya telah mengabaikan peraturan konstruksi, dan kebanyakan dari proyek-proyek ini berpotensi merusak fitur lanskap.[56] Selain itu, proyek-proyek berskala besar tersebut telah mengancam kualitas air di sekitar kota, menimbulkan limbah, dan menyedot sistem pasokan listrik.[56] Telah tercatat bahwa tingginya frekuensi pariwisata, meningkatnya permintaan atas penginapan di daerah tersebut, dan pengembangan jalan besar bebas hambatan, memiliki efek langsung pada kualitas air di bawah tanah, yang kemudian akan mengganggu stabilitas struktur candi di Angkor Wat.[56] Penduduk lokal Siem Reap juga menyuarakan keinginan mereka untuk menciptakan lingkungan alam yang mempesona dan suasana kota yang bersahabat untuk menunjang pariwisata.[56] Karena suasana lokal yang memesona ini adalah komponen kunci untuk proyek seperti Kota Pariwisata Angkor, para pejabat lokal terus membahas bagaimana menyukseskan pariwisata pada masa depan tanpa mengorbankan nilai dan budaya lokal.[56]
Pada Forum Pariwisata ASEAN 2012, Indonesia dan Kamboja telah bersepakat bahwa Borobudur dan Angkor Wat menjadi situs bersaudara dan kedua provinsi tempat candi tersebut berdiri juga ditetapkan sebagai provinsi bersaudara.[57] Dua maskapai pesawat Indonesia juga diminta untuk melakukan penerbangan langsung dari Yogyakarta, Indonesia ke Siem Reap.[58]
Galeri
Lihat pula
Kamboja
Angkor Thom
Referensi
Bacaan lanjutan
Briggs, Lawrence Robert (1951, reprinted 1999). The Ancient Khmer Empire. White Lotus. ISBN 974-8434-93-1.
Forbes, Andrew; Henley, David (2011). Angkor, Eighth Wonder of the World. Chiang Mai: Cognoscenti Books. ASIN: B0085RYW0O
Freeman, Michael and Jacques, Claude (1999). Ancient Angkor. River Books. ISBN 0-8348-0426-3.
Higham, Charles (2001). The Civilization of Angkor. Phoenix. ISBN 1-84212-584-2.
Higham, Charles (2003). Early Cultures of Mainland Southeast Asia. Art Media Resources. ISBN 1-58886-028-0.
Hing Thoraxy. Achievement of "APSARA": Problems and Resolutions in the Management of the Angkor Area.
Petrotchenko, Michel (2011). Focusing on the Angkor Temples: The Guidebook, 383 pages, Amarin Printing and Publishing, ISBN 978-616-90744-0-3
Ray, Nick (2002). Lonely Planet guide to Cambodia (4th edition). ISBN 1-74059-111-9.
Pranala luar
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Geographic data related to at OpenStreetMap
Kategori:Buddhisme
Kategori:Kuil di Kamboja
Kategori:Situs Warisan Dunia UNESCO di Kamboja
Kategori:Candi di Kamboja | https://id.wikipedia.org/wiki/Angkor%20Wat |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
509,
1019,
1236,
2114,
3875,
4586,
5676,
6066,
6590,
7292,
7916,
9302,
9610,
10286,
11762,
13248,
13695,
14435,
14982,
16521,
17094,
17577,
18119,
19062,
19562,
20171,
21036,
21371,
21875,
23245,
25555,
26195,
26631,
27025,
27504,
28455,
29038,
29261,
30366,
32145,
32537,
33468,
34488,
35367,
35752,
36729,
37774,
38718,
39295,
41074,
42415,
42713,
43298
],
"plaintext_end_byte": [
508,
1018,
1235,
2113,
3838,
4585,
5675,
6024,
6589,
7291,
7898,
9238,
9609,
10285,
11731,
13217,
13694,
14381,
14981,
16447,
17093,
17576,
18079,
19061,
19561,
20170,
21035,
21342,
21874,
23220,
25500,
26194,
26585,
26996,
27503,
28454,
29037,
29241,
30365,
32144,
32536,
33467,
34437,
35318,
35750,
36728,
37753,
38647,
39294,
41073,
42391,
42691,
43284,
43604
]
} | كم وقتاً تستغرق نبتة الثوم للنمو ؟ | وارفارين | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
الوارفارين [1] ويعرف أيضا بأسماء تجارية مثل (Coumadin[2] ، Jantoven[3] ، Marevan[4] ، Lawarin[5] ، Uniwarfin[6] و [7] Waran) هو دواء مضاد للتخثر يستخدم عادة للوقاية من الخُثار ومن انسداد الأوعية الدموية، أي الوقاية من تشكّل جلطة دموية (خثرة) في القلب أو الأوعية الدموية ومن ثَمِّ انتقالها إلى منطقة أخرى من الجسم.
في عام 1920 ابتُليت الماشية في شمال أمريكا وكندا باندلاع مرض غير عادي يتسم بنزيف مميت، فتموت الماشية إما من تلقاء أنفسها أو من جراء إصابات طفيفة. واكتُشف لاحقا أن السبب وراء ذلك المرض هو سيلاج (علف) مخزون متعفن مصنوع من البرسيم الحلو وثُبت أن به عامل نزفية يخفض من نشاط البروثرومبين .
استُنبط اسم الوارفارين من الأحرف الأولى ل WARF خريجي مؤسسة بحوث ويسكونسن[8] (Wisconsin Alumni Research Foundation) واللاحقة arin من كومارين .
ظهر الوارفرين تجاريًا لأول مرة عام 1948، حيث تم تسويقه أصلاً كمبيد للقوارض[9][13][9]، ومازال يُستخدم لهذا الغرض على الرغم من ظهور البروديفاكوم وانتشار استخدامه لنفس الغرض. في بدايات الخمسينيات من القرن الماضي وبعد بضعة سنوات من تسويقه تبين أنه فعال في اتقاء الخثار والانصمام الرئوي في حالات مرضية عديدة. تم إقرار استخدام الوارفارين كدواء في عام 1954 [10]، ولا يزال شائع الاستخدام حتى أيامنا هذه، حيث أن الوارفارين هو أكثر دواء معتمد ومنتشر بأمريكا الشمالية كعقار مضاد للتخثر عن طريق الفم [11].
على الرغم من فاعلية العلاج بالوارفارين إلا أن له العديد من العيوب،[12] إذ أن الكثير من العقارات شائعة الاستخدام تتداخل معه دوائيا [13]، وكذلك هناك أطعمة أخرى تتداخل معه دوائيا مثل الخضروات الورقية لأنها تحتوي على قدر كبير من فيتامين ك [14]. ولذلك، من أجل إدارة فترة علاج فعّالة للوارفارين يستلزم مداومة تحليل دم المريض طوال فترة العلاج لمراقبة سيولة الدم المسماة: النسبة المعيارية الدولية والمعروفة اختصاراً بـ INR، إلى جانب الحفاظ على كميات متقاربة من فيتامين ك في الغذاء اليومي لكيلا تتأثر فعالية الجرعة الدوائية اليومية للوارفارين فتتأثر درجة سيولة الدم المستهدفة خلال فترة العلاج. إن ارتفاع السيولة INR يعرض المريض لخطر النزيف، سواء أكان النزيف خارجياً من الأنف مثلا أو مُهدد للحياة مثل النزيف الداخلي في الدماغ أو القلب مثلاً. أما إذا انخفضت سيولة الدم INR تحت الحد المطلوب علاجياً ، فهذا يُعني أن جرعة الوارفارين الدوائية ليست كافية لحماية المريض من انْصِمامٌ خُثارِيّ قد يعرض المريض لأخطار، منها على سبيل المثال النوبة القلبية أو السكتة الدماغية.
الاستخدامات الطبية
يُستخدم الوارفارين لتخفيض ميل الدم إلى التخثر، أو يُستخدم كوقاية ثانوية لمنع المزيد من الخثرات في الأفراد الذين شُكلت بالفعل لديهم خثرة (جلطة دموية). العلاج بالوارفارين يمكن أن يساعد في منع تكوين جلطات الدم في المستقبل ويساعد على تقليل خطر انسداد الأوعية الدموية والتي عادة مايكون سببها انتقال الخثرة (الجلطة) مع سريان الدم إلى مكان آخر فتسده وتمنع تدفق الدم إلى العضو الحيوي الذي تغذيه [15].
الوارفارين أنسب لمنع تخثر الدم في الحالات الآتية: في مناطق الجسم التي يبطئ فيها جريان الدم (كما هو الحال في الأوردة أو عند تجمع الدم وراء الصمامات الإصطناعية والطبيعية) وفي الدم المتجمع بالأذينين حال القلب المختل وظيفيا. وبالتالي، فإن المؤشرات العامة السريرية لاستخدام الوارفارين هي: الرجفان الأذيني، وجود صمامات قلب اصطناعية، تجلط وريدي عميق، والانسداد الرئوي (حيث تتكوّن الخثرات الأولى في الأوردة). يستخدم الوارفارين أيضا في متلازمة أضداد الفوسفوليبيد. وقد استُخدم الوارفارين في بعض الأحيان بعد النوبات القلبية (احتشاء عضلة القلب)، ولكنه أقل فعالية بكثير في منع جلطات جديدة في الشرايين التاجية.
لمنع تكون الخثرات في الشرايين غالباُ ما تستخدم العقاقير المضادة للصفيحات (antiaggregant)، والتي تعمل من خلال آلية مختلفة عن الوارفارين الذي ليس التي لديه عادة أي تأثير على وظائف الصفائح الدموية [16].
مضادات التخثر البديلة
في بعض البلدان، يتم استخدام كومارينات أخرى بدلا من الوارفارين، مثل أسينوكومارول [17][18] و<b data-parsoid='{"dsr":[12915,12933,3,3]}'>فينوبروكومون [19] ، وهما ليسا قابلين للتبديل مع الوارفارين تماما، فإن عمر النصف الحيوي أقصر في حالة الأسينوكومارول وأطول في حالة الفينوبروكومون، وذلك بالمقارنة مع الوارفارين.
هناك عدة أنواع أخرى من العقاقير المضادة للتخثر التي لها نفس فعالية الوارفارين ولكنها لا تحتاج إلى متابعة الرصد خلال فترة العلاج، مثل دابيغاتران[20] (dabigatran) وأبيكسابان[21] (apixaban) وريفاروكسيبان[22] (rivaroxaban). وقد تم اعتماد تلك العقاقير في عدد من البلدان كبديل للاستخدامات التقليدية للوارفارين مثل الرجفان الأذيني. وهناك أيضا عقاقير أخرى تندرج تحت نفس التصنيف الدوائي ولكنها مازالت قيد التطوير.
من الأهمية بمكان قبل اختيار العقاقير البديلة للوارفارين في العلاج، معرفة أنه لا يوجد حالياً عَامِل انعكاس لإبطال مفعول مضادات التخثر البديلة السابق ذكرها [23]. وعليه، يؤخذ في الحسبان الخطة العلاجية حال حدوث نزيف غير مرغوب به لأى سبب كان، إذ أن مفعول العقار البديل سيظل مستمراً حسب عمر النصف الحيوي ولن يمكن ايقاف أثره قبل انقضاء مدته.
المداواة
المداواة وتحديد جرعات الوارفارين مُعقّد لأنه من المعروف أن الوارفارين يتفاعل مع العديد من الأدوية المستخدمة [24]، وبعض الأطعمة [11]. هذه التفاعلات قد تزيد أو تقلل من تأثير الوارفارين على منع تخثر الدم. لتحقيق أمثل تأثير علاجي دون المخاطرة بآثار جانبية خطيرة مثل النزيف، ينبغي مداومة الرصد والمتابعة الدقيقة لمستوى منع تخثر الدم عن طريق فحص دم دوري لقياس مستوى الـ INR. خلال المرحلة الأولى من العلاج يتم فحص الـ INR يوميا؛ ويمكن زيادة الفترة بين قياسات تحليل الدم الدورية إذا كان المريض محافظاً على المستويات العلاجية للـ INR مستقرة على جرعة وارفارين ثابتة دون تغير [16]. يوجد الآن نقطة رعاية سريرية أحدث، وقد زادت من سهولة اختبار الـ INR في العيادات الخارجية، فبدلا من سحب الدم، تنطوي نقطة الرعاية السريرية الحديثة على وخز بسيط للإصبع [25].
جرعة المداومة (أو جرعةُ الصِّيانة)
تم استخلاص التوصيات من قبل العديد من الهيئات الوطنية، بما في ذلك الكلية الأمريكية لأطباء الصدر ومختصرها (CHEST)، للمساعدة في إدارة تعديلات الجرعة الدوائية للوارفارين [27].
يمكن أن تتذبذب جرعة الصيانة للوارفارين بشكل كبير اعتمادا على كمية فيتامين ك1 (K1) في النظام الغذائي للمريض، ولذلك فإنه من الأهمية بمكان الحفاظ على كمية فيتامين ك1 (K1) في طعام المريض عند مستوى مستقر أو ثابت قدر المستطاع لمنع مثل هذه التقلبات في جرعة الصيانة للوارفارين. إن أهم مصادر فيتامين ك1 (K1) في الطعام هي الخضروات المورقة لأنها تميل إلى احتواء كميات عالية من فيتامين ك1 (K1):
فمثلاً، الأجزاء الخضراء من أعضاء الفَصِيلَة الخَيْمِيَّة وهي فصيلة نباتية من أشهر نباتاتها: البقدونس والكزبرة والشبت والجزر والكمون واليانسون والكرفس والكراويا والقزع، لهي مصادر غنية للغاية من فيتامين ك (K).
ثم تأتي بعدها خضروات الفصيلة الصليبية مثل الكرنب (الملفوف) والقرنبيط، فضلا عن أصناف أكثر قتامة (لون أخضر قاتم) مثل الخس والخضر الورقية الأخرى، والتي هي أيضا مرتفعة نسبيا في احتوائها على فيتامين ك1 (K1).
أما الخضروات الخضراء مثل البازلاء والفاصوليا الخضراء فلا تحتوي على مثل هذه الكميات العالية من فيتامين ك1 (K1) كما هو الحال في الخضر الورقية السابق ذكرها.
بعض الزيوت النباتية لديها كميات عالية من فيتامين ك1 (K1).
الأطعمة المنخفضة في فيتامين ك1 (K1) تشمل الجذور والبصيلات والدرنات ومعظم الفواكه وعصير الفواكه.
كذلك الحبوب، والحبيبات والمنتجات المطحونة الأخرى هي أيضا منخفضة في فيتامين ك1 (K1) [28].
الاختبار الذاتي
يتزايد عدد المرضى الذين يستخدمون الاختبار الذاتي والمراقبة المنزلية لمنع تخثر الدم للأدوية المُتناولة عن طريق الفم. نُشرت مبادئ توجيهية دولية بشأن الاختبار المنزلي في عام 2005 [29]. وجاء في الإرشادات: "اجتمعت الآراء على أن الاختبار الذاتي للمريض والإدارة الذاتية للمريض طرق فعالة لمراقبة علاج منع تخثر الدم للأدوية المتناولة عن طريق الفم، وجائت نتائجها على أقل التقديرات جيدة وربما أفضل من تلك التي حققتها عيادات منع تخثر الدم. يجب اختيار جميع المرضى الملائمين وتدريبهم. الاختبار الذاتي وأجهزة الإدارة الذاتية المتاحة حالياً تُعطي نتائج INR شبيهة بتلك التي تم الحصول عليها في الاختبارات المعملية" [29]. أظهرت المراجعة المنهجية والتحليل التلوي في عام 2006 لأربعة عشر (14) تجربة عشوائية أن الاختبار الذاتي المنزلى أدى إلى حدوث انخفاض في المضاعفات (تجلط الدم ونزيف رَئيسِيّ كَبير) وتحسن الوقت للمدى العلاجي [30].
موانع الاستخدام
يُمنع الاستطباب بالوارفارين خلال أشهر الحمل لأنه يمر عبر حاجز المشيمة ويمكن أن يسبب نزفاً للجنين. يرتبط استخدام الوارفارين خلال فترة الحمل عادة مع الإجهاض التلقائي ، ولادة جنين ميت (الإملاص) ، وفاة الأطفال حديثي الولادة ، أو الولادة المبكرة [31].
الكومارينات (مثل الوارفارين) هي أيضا ماسخة أي تسبب تشوهات خلقية لحديثي الولادة. إن حدوث عيوب خلقية في الأجنة التي تتعرض للوارفارين في الرحم تبدو نسبتها حوالي 5٪، وذلك على الرّغم من أنّ أرقاماً أعلى (تصل إلى 30٪) وردت في بعض الدراسات [32]. هناك مجموعتان مختلفتان من التشوهات الخلقية التي يمكن أن تنشأ في الجنين [31]، ويكون ذلك بناءً على أي فترة من فترات الحمل تم التعرض فيها للوارفارين.
أشهر الثُلُثِ الأول من الحمل
عادة ما يتم تجنب الوارفارين في الثلث الأول من الحمل[33]، واستخدام هيبارين منخفض الوزن الجزيئي مثل بدلاً منه. يظل خطر نزف الأمهات والمضاعفات الأخرى قائماً مع استخدام مع الهيبارين، ولكن الهيبارين لا يعبر حاجز المشيمة، لذلك لا يسبب تشوهات خلقية [32]. هناك حلول مختلفة يمكن اتباعها عند اقتراب موعد الولادة.
عندم تناول الوارفارين (أو مشتقات آخر من مشتقات 4-hydroxycoumarin) خلال الأشهر الثلاثة الأولى للحمل، ولاسيما بين الأسبوعين السادس والتاسع من الحمل، فمن الممكن حدوث كوكبة من العيوب الخلقية المعروفة باسم متلازمة الوارفرين الجنينية (FWS) ، أو حدوث اعتلال الوارفارين المُضْغِيّ ، أو حدوث اعتلال الكومارين المُضْغِيّ . يتميز FWS أساسا بتشوهات الهيكل العظمي والتي تشمل نقص التنسج الأنفي (أي عدم نمو أو عدم اكتمال نمو النسيج الأنفي)، ضيق أو اتساع جسر الأنف ، انحراف العمود الفقري (الجنف)، وتكلسات في العمود الفقري وعظم الفخذ والعَظْم العَقِبِيّ، والتي تظهر بمظهر مُرَقَّط غريب على الأشعة السينية. يمكن أيضا أن تحدث تشوهات الأطراف، مثل قصر الأصابع (أصابع يد وقدم قصيرة على غير العادة) أو عدم اكتمال نمو الأطراف. تشمل الخصائص غير الهيكلية الشائعة لمتلازمة الوارفرين الجنينية (FWS): انخفاض الوزن عند الولادة والعاهات الخلقية[31][32].
أشهر الثُلُثِ الثاني من الحمل وما بعدها
استخدام الوارفارين في الثلثين الثاني والثالث من أشهر الحمل يرتبط عادة بتشوهات خلقية أقل بكثير لكنها تختلف كثيرًا عن متلازمة الوارفرين الجنينية (FWS). التشوهات الخلقية الأكثر شيوعا المرتبطة باستخدام الوارفارين في أواخر أشهر الحمل هي اضطرابات الجهاز العصبي المركزي، بما في ذلك التشنج ونوبات الصرع، وعيوب العين [31][32].
وبسبب تلك العيوب الخلقية للمولودين إذا استخدمت الأم الوارفارين في أواخر الحمل، فإن منع تخثر دم الأم بالوارفارين يطرح مشكلة عند النساء الحوامل اللاتي يتطلبن الوارفارين من أجل الإستطبابت الحيوية، مثل الوقاية من السكتة الدماغية للأمهات ذات صمامات القلب الاصطناعية.
وفقا للكلية الأميركية لأطباء الصدر (ACCP) ، فإن الوارفارين يمكن أن يُستخدم في النساء المرضعات اللاتي يرغبن في إرضاع أطفالهن، إذ لا توحي البيانات المتوفرة إلى أن الوارفارين يعبر إلى حليب الثدي [34]. وبالمثل، يجب فحص مستويات سيولة الدم INR لتجنب الآثار السلبية المعروفة للوارفاين [34].
الآثار السلبية
النزف
الآثار الجانبية الوحيدة الأكثر شيوعا للوارفارين هي النزف. يبقى خطر النزيف الحاد صغيرًا. ولكن مُوَكَّد (تم الإبلاغ عن معدل سنوي متوسط من 1 إلى 3٪ [35]) ولابد قبل أخذ قرار العلاج بالوارفارين أن تكون فائدة العلاج تفوق هذا الخطر الكامن. جميع أنواع النزيف شائعة، ولكن أكثرها مأساوية هي تلك التي تكون في الدماغ (نزيف داخل المخ / السكتة الدماغية النزفية) والحبل الشوكي [35]. خطر النزيف يزداد إذا كان الـ INR خارج النطاق (بسبب عرضي أو جرعة زائدة متعمدة أو بسبب التفاعلات) [36]، ويزداد هذا الخطر بصورة كبيرة وبمجرد أن يتجاوزالـ INR قيمة 4.5 [37].
هناك عدة طرق لتقدير درجات الخطر، تقوم بالتنبؤ باحتمال حدوث نزيف في الأشخاص الذين يستخدمون الوارفارين ومضادات التخثر المماثلة. من أهم تلك الطرق التي يشيع استخدامها طريقة احراز نقاط الخطر المعروفة اختصاراً باسم HAS-BLED والتي تتضمن الأسباب المعروفة للنزيف ذات الصلة الوارفارين:
(H) عدم انضباط ارتفاع ضغط الدم - H</b>ypertension
(A) وظائف الكلى أو كبد غير طبيعية - A</b>bnormal renal and liver function
(S) وحدوث سكتة دماغية سابقة - S</b>troke
(B) حدوث حالة نزيف سابقة - B</b>leeding
(L) كون الـ INR غير مستقر سابقاً أثناء العلاج بمضادات تخثر الدم - L</b>abile INRs
(E) كبار السن أكثر من 65 عاماً - E</b>lderly
(D) الأدوية المرتبطة بالنزيف (مثل الاسبرين) أو تناول الكحول - D</b>rugs or alcohol
بينما يُوصَى باستخدام طرق تقدير درجات الخطر في المبادئ التوجيهية للممارسة السريرية [38]، إلا أن فعالية تلك التقديرات تبقى معتدلة في توقع احتمال حدوث نزيف ولكن نتائجها ليست جيدا في التنبؤ بالسكتة النزفية [39]. ويمكن أن يزداد خطر النزيف في مرضى الغسيل الكلوي [40]. هناك طريقة أخرى تُستخدم لتقييم احتمال حدوث نزيف أثناء العلاج بمضادات تخثر الدم، وتحديدا الوارفارين أو الكومادين، وهى حرز مخاطر ATRIA الذي يَستخدم تقييم كمّي إضافي من نتائج الفحص السريري لتحديد تدرج خطر النزف للمريض [41].
تزداد مخاطر النزيف أبعد من ذلك عندما يتم الجمع بين الوارفارين مع الأدوية المضادة للصفيحات مثل كلوبيدوغريل، والأسبرين، أو الأدوية المضادة للالتهابات اللاستيرويدية [42].
نخر الوارفارين
نخر الوارفارين [43][44] هو أحد المضاعفات النادرة والخطيرة التي قد تنتج جراء المعالجة بالوارفارين، والذي يحدث بشكل متكرر كثيراً بعد فترة وجيزة من بدء العلاج بالوارفارين للمرضى الذين يعانون من نقص في بروتين سي (C) المعروف أيضا باسم أوتوبروثرومبين أو العامل الرابع عشر في تخثر الدم.
بروتين سي (C) هو مضاد تخثر أساسي في الدم، يثبطه الوارفارين مثلما يثبط كل العوامل الأخرى المحفزة للتخثر في الدم. ومن أجل أن ينشط ويصبح فاعلاُ، يتطلب بروتين سي (C) إضافة مجموعة كربوكسيل (كرسلة) والتي تعتمد بدورها على فيتامين ك (K). ولكن بما أن الوارفارين يقلل مستويات بروتين سي (C) في الدم أسرع من العوامل الأخرى لتجلط الدم، فإنه على النقيض من ذلك، يُزيد من ميل الدم على التخثر في الفترة الأولى عند بدء العلاج، مما يؤدي إلى تخثر ضخم يصاحبه نخر في الجلد (الموت المبكر لخلايا الجسم الحية) وغنغرينا في الأطراف. وللتغلب على ذلك فإن العديد من المرضى يتم إعطائهم الهيبارين عند بدأ العلاج بالوارفارين، في نفس الوقت. والنظير الطبيعي لهذه الحالة هى: الفرفرية الخاطفة التي تصيب الأطفال الذين لديهم متماثلة الجينات (متماثلة الزيجوت) لبعض طفرات البروتين سي (C) [45].
هشاشة العظام
أفادت التقارير الأولية بأن الوارفارين يمكن أن يُقلل من كثافة المعادن في العظام، أظهرت العديد من الدراسات وجود صلة بين استخدام الوارفارين والكسور المتعلقة بهشاشة العظام . أُجريت دراسة عام 1999 على 572 من النساء اللواتي كن يتناولن الوارفارين بسبب اصابتهن بخثار وريدي عميق (تشكل خثرة بداخل وريد عميق)، وبينت الدراسة أن خطر الكسر في العمود الفقري وكسر ضلوع القفص الصدري قد ازداد، بينما أنواع الكسور الأخرى فلم تكن أكثر شيوعا عن المعدل المعروف [46]. نظرت دراسة عام 2002 في عينة مختارة عشوائية قدرها 1523 مريضا يعانون من كسور هشاشة العظام، ولم تجد أي زيادة في التعرض لمضادات التخثر مقارنة مع الضوابط المعروفة، ولم يكشف تصنيف المرضى تبعا لمدّة العلاج بأدوية منع تخثر الدم عن وجود أي ميل نحو زيادة كسور الهشاشة في عينة المرضى [47].
وأظهرت دراسة أجريت عام 2006 بأثر رجعي على نتائج سابقة من 14564 مريض يتلقون رعاية طبية، أن استخدام الوارفارين لأكثر من سنة واحدة ارتبط مع زيادة قدرها 60٪ لخطر الإصابة بالكسور المتعلقة بهشاشة العظام في الرجال، بينما لم يكن هناك ارتباط مع النساء. تعتقد الدراسة أن الآلية والسبب وراء ذلك هي مزيج من خفض كمية تناول فيتامين ك (K) الذي هو ضروري لصحة العظام، بالإضافة إلى تثبيط يسببه الوارفارين لعملية إضافة كربوكسيل (كرسلة) لبعض بروتينات العظام والتي تتم (أي عملية الكرسلة) بواسطة فيتامين ك، وهذا يجعل بروتينات العظام تلك في حالة غير وظيفية [48].
متلازمة إصبع القدم الأرجواني
إحدى المضاعفات الأخرى النادرة التي قد تحدث في وقت مبكر أثناء العلاج الوارفارين (عادة في غضون أول 3-8 أسابيع من بدء العلاج) هي متلازمة إصبع القدم الأرجواني. يُعتقد أن هذه الحالة تنجم عن تكسر الكوليسترول وانطلاقه حرأ مع مسار الدم ثم ترسبه بكميات صغيرة مسبباً انسداد في الأوعية الدموية لجلد القدمين وظهور لوناً أرجوانياً مائل إلى الزرقة يمكن أن يصاحبه ألم.
يُعتقد أن تلك الحالة ثؤثر على إصبع القدم الكبير، ولكنها تؤثر في الحقيقة على أجزاء أخرى من القدمين أيضا بما في ذلك الجزء السفلي من القدم (سطح أخمصي). حدوث متلازمة إصبع القدم الأرجواني قد يتطلب وقف الوارفارين فوراً [49].
تكلس الصمامات والشرايين
العديد من الدراسات الوبائية (علم انتشار الأمراض) أظهرت وجود علاقة بين استخدام الوارفارين وتكلس الصمامات والأوعية الدموية. لا يوجد علاج محدد متاح حالياً، ولكن هناك بعض الوسائل التي مازالت قيد البحث [50].
الجرعة الزائدة
الآثار الجانبية الرئيسية لاستخدام الوارفارين هي النزف، وخطر النزيف يزداد إذا كانت الـ INR خارج نطاق المدى العلاجي (بسبب جرعة زائدة عرضية أو متعمدة أو بسبب التفاعلات) [36]. العديد من تفاعلات الأدوية يمكن أن تزيد من تأثير الوارفارين، وتكون السبب أيضا في جرعة زائدة [11].
بالنسبة للأشخاص الذين يحتاجون إلى التراجع السريع عن أثر الوارفارين إما بسبب نزيف خطير أو بسبب احتياجهم لعملية جراحية طارئة، فإنه من الممكن عكس آثار الوارفارين باستخدام فيتامين ك (K) مع مركّب البروثرومبين المركّز[51] المعروف اختصاراً بـ PCC (بعض أسماءه التجارية: Beriplex[52], Octaplex[53], Kcentra[54], Cofact[55]) أو مع البلازما الطازجة المجمدة[56] المعروفة اختصاراً بـ FFP، وذلك بالإضافة إلى فيتامين ك (K) بالقسطرة الوريدية [57]. منتجات الدم ينبغي ألا تستخدم بشكل روتيني لعكس الوارفارين عندما يُمكن لفيتامين ك (K) أن يعمل وحده على عكس آثار الوارفارين [57].
للمرضى الذين يعانون من INR مرتفع ما بين 4.5 و10.0، فإن جرعة صغيرة (حوالي 1000 ميكروغرام أو/ واحد مليغرام) من فيتامين ك (K) عن طريق الفم تكون كافية. عند استخدام الوارفارين في العلاج بحيث تكون قيمة الـ INR واقعة في نطاق المدى العلاجي المطلوب، فإن وقف الدواء ببساطة لمدة خمسة أيام عادة ما يكفي لعكس الآثار ولنزول الـ INR لقيمة أقل من 1.5 [58].
تفاصيل عكس آثار الوارفارين موجودة في المبادئ التوجيهية للممارسة السريرية من الكلية الأمريكية لأطباء الصدر [59].
التفاعلات
يتفاعل الوارفارين مع العديد من الأدوية الشائعة الاستخدام، كما أن عملية التمثيل الغذائي للوارفارين تختلف اختلافا كبيرا بين المرضى [11]. كذلك تتفاعل بعض الأطعمة مع الوارفارين [11]. وبصرف النظر عن التفاعلات الأيضية، فإن الأدوية ذات درجات عالية من الإرتباط بالبروتين يمكن أن تحل محل الوارفارين في ألبيومين الدم مسببةً زيادة في الـ INR [60]، وهذا يجعل العثور على الجرعة الصحيحة صعباً، ويسلط الضوء على ضرورة الرصد والمتابعة لدرجو سيولة الدم خلال فترة العلاج. عند الشروع في دواء معروف بتفاعله مع الوارفارين (مثل سيمفاستاتين)، فإنه لابد من زيادة عدد مرات تحليل INR أو تعديل الجرعات حتى الوصول إلى جرعة مثالية جديدة مناسبة.
الكثير من المضادات الحيوية شائعة الاستخدام، مثل ميترونيدازول أو الماكروليدات، تزيد في تأثير الوارفارين زيادة كبيرة إذ أنها تحد من عملية التمثيل الغذائي للوارفارين في الجسم. يمكن أيضاً للمضادات الحيوية الأخرى واسعة الطيف (التي تعمل ضد طائفة واسعة من البكتيريا المسببة للأمراض) أن تقلل من كمية النبيتات الجرثومية الطبيعية في الأمعاء (مجموعة الميكروبات الموجودة في الجهاز الهضمي)، الأمر الذي يؤدي إلى كميات كبيرة من فيتامين ك1 (K1)، مما يؤدي بالتالي إلى تقليل تأثير الوارفارين [61]. بالإضافة إلى ذلك، الطعام الذي يحتوي على كميات كبيرة من فيتامين ك1 (K1) يقلل من تأثير الوارفارين [11][35]. كذلك يظهر أن نشاط الغدة الدرقية أيضا له تأثير على متطلبات جرعات الوارفارين [62] ؛ إذ أن قصور الدرقية (انخفاض وظيفة الغدة الدرقية) يجعل الناس أقل استجابة لعلاج الوارفارين [63]، في حين أن فرط الدرقية (فرط نشاط الغدة الدرقية) يعزز من التأثير المانِع للتَّخَثُّرِ [64]. هناك العديد من الآليات التى اقتُرحت لتفسير هذا بما في ذلك التغيرات في معدل انهيار عوامل التجلط والتغيرات في التمثيل الغذائي للوارفارين [62][65].
ومن المعروف أن الاستخدام المفرط للكحول يؤثر أيضا على استقلاب الوارفارين وبذلك يمكنه رفع الـ INR وبالتالي يزيد من خطر النزيف [66]. تُدرج إدارة الغذاء والدواء الأمريكية (FDA) في نشرة منتج الوارفارين، أن الكحول واجب تجنبها.
يتفاعل الوارفارين أيضا مع العديد من الأعشاب والتوابل [67]، بعضها يسُتخدم في الأغذية (مثل الزنجبيل والثوم) وغيرها يُستخدم للأغراض الطبية (مثل الجينسنغ والجنكه بيلوبا). كل قد يزيد النزيف والتكدم في الأشخاص الذين يتناولون الوارفارين. كذلك تم الإبلاغ عن آثار مماثلة مع زيت لسان الثور (starflower) أو زيوت الأسماك [68]. يوصى أحياناً بنبتة العرن المثقوب (أو سانت جون)، للمساعدة في التقليل من فعالية جرعة مُعطاة من الوارفارين؛ ذلك لأنها تحث الانزيمات التي تفتت الوارفارين في الجسم، مما يسبب انخفاضاً في التأثير المضاد للتخثر [69].
تلقت لجنة سلامة الأدوية (CSM) بالمملكة المتحدة عدة تقارير بين عامي 2003 و2004 عن زيادة الـ INR وخطر النزيف في الأشخاص الذين يتناولون الوارفارين وعصير أحد أنواع التوت البري الذي يُدعى: "العنبية حادة الخباء" [70][71]. لا يوجد حتى الآن بيانات كافية لإقامة علاقة سببية، وأفادت نشرة في عام 2006 عدم وجود أي حالات مماثلة من هذا التفاعل تم الإبلاغ عنها لإدارة الغذاء والدواء الأمريكية (FDA) [72]. ومع ذلك، فقد أوصى العديد بتنبيه كلا من الأطباء والمرضى بإدراك امكانية حدوث تلك العلاقة بين الوارفارين وهذا العصير [73]. لا تزال الآلية وراء هذا التفاعل غير واضحة [72].
توليف الوارفارين
الكيمياء
دراسات التصوير البلوري بالأشعة السينية للوارفارين أنه يتواجد في شكل صنواني، مثل الهيميكيتال الحَلَقِيّ الذي يتكون من الـ 4-هيدروكسي (سابقة تدل على وجود مجموعة الهيدروكسيل) كومادين والـ كيتون في مستبدلة الوضع-3 [74].
ومع ذلك، فإن وجود الكثير من 4-هيدروكسي كومادين المضاد للتخثر (مثل فينوبروكومون ) لا يملكون مجموعة كيتون في مستبدلة الوضع-3 لتشكيل مثل هذه البنية، فإن ذلك يدل على أن الهيميكيتال يجب أن يتحلل إلى صورة 4-هيدروكسي من أجل يصبح الوارفارين نشِطاً [75].
الصيدلة
الحرائك الدوائية
يتكون الوارفارين من خليط راسمي (مزيج عنقودي) يتكون من اثنين من المتصاوغات المرآتية النشطة على صورة R وS، لكل منهما مسار مختلف. S-وارفارين أقوى وأكثر فعالية 2 إلى 5 مرات من R-ايزومير في إنْشاء استجابة منع التخثر [16].[76]
مفعول الوارفارين أبطأ من الهيبارين الاعتيادي المضاد للتخثر، إلا أن للوارفارين عدد من المزايا. احداها أنه يجب إعطاء الهيبارين عن طريق الحقن، في حين أن الوارفارين متاح للتناول عن طريق الفم. نصف عمر الوارفارين طويل ويحتاج أن يعطى مرة واحدة فقط يوميا. الهيبارين يمكن أيضا أن يسبب حالة تخثر، قلة الصفيحات الناجم عن الهيبارين (وهو انخفاض في مستويات الصفائح الدموية يتم بواسطة الأجسام المضادة)، مما يزيد من خطر تجلط الدم. يستغرق الوارفارين عدة أيام للوصول إلى التأثير العلاجي نظرا لعدم تأثر عوامل التخثر به (نصف الوقت للثرومبين يمتد لعدة أيام).
إن فترة نصف العمر الطويلة للوارفارين تجعله يظل فعالا لعدة أيام بعد أن يتم إيقافه. إِضَافَةً إلى ذَلِك، إذا ما أُعطي الوارفارين في بداية العلاج من دون غطاء إضافي مضاد للتخثر (أي دواء آخر) فإن ذلك يمكن أن يزيد من خطر تجلط الدم (إذ أن الوارفارين عند الفترة الأولى لبدء العلاج به يمكنه أن يُعزز تشكيل جلطة ،انظر أدناه: "آلية العمل"). لهذه الأسباب الرئيسية، عادة ما يُعطى المرضى في المستشفيات الهيبارين مع الوارفرين في بداية العلاج، حيث يغطي الهيبارين الفترة التي يحتاجها الوارفارين ليظهر مفعوله وهي 3-5 أيام، ثم يتم سحب الهيبارين بعد أيام قليلة والإستمرار على الوارفارين.
آلية العمل
الطريقة التي يعمل بها هذا الدواء تقوم على منع تكوين ڤيتامين K ووهو ڤيتامين ضروري لإضافة مجموعة كربوكسيل الي حمض الجلوتاميك لعدد من عوامل التجلط هم: العامل الثاني (ثرومبين) والسابع، والتاسع، والعاشر. وكذلك ضرورى لبروتين s وبروتين c لذا، فإن عدم توافر فيتامين K يحد من فاعلية عوامل التخثر مما يجعل الدم قليل اللزوجة. يقوم فيتامين ك بتنشيط انزيم الكربوكسيليز ليقوم بإضافة مجموعة كربوكسيل إلى حمض الجلوتاميك في عوامل التجلط وذلك ضروري لعمل رابطة مع طبقة الفوسفولبيد في الأوعية الدموية.
تأثير جينات الشخص على استجابته للدواء
دراسة تأثير جينات الشخص على استجابته للدواء هي علم يجمع بين علم الصيدلة (الأدوية) وعِلم المجينيات أو المحتوى الوراثي (وهو العلم الذي يُعنَى بدراسة الجينات ووظائفها). يتحدد نشاط الوارفارين جزئيا عن طريق العوامل الوراثية. تعدد الأشكال في اثنين من الجينات هما VKORC1 وCYP2C9 يلعب دورا كبيرا بشكل خاص في الاستجابة للوارفارين.
تعدد أشكال VKORC1 يفسر 30% من تغيرات الجرعة لدى المرضى [77]: بعض الطفرات المعينة تجعل VKORC1 أقل عرضة للكبت والإخماد من قِبَل الوارفارين [78]. هناك نوعان من الأنماط الفردانية الرئيسية التي تفسر 25٪ من التباين: المجموعة (A) للنمط الفرداني ذو الجرعة المنخفضة، ومجموعة (B) للنمط الفرداني ذو الجرعة العالية [79]. تعدد أشكال VKORC1 يفسر لماذا الأميركان الأفارقة هم في المتوسط أكثر مقاومة نسبيا للوارفارين (بهم نسبة أعلى من مجموعة B)، في حين أن الأمريكان الآسيويين عادة ما يكونون أكثر حساسية للوارفارين (بهم نسبة أعلى من المجموعة A) [79]. المجموعة A من الأنماط الفردانية لـ VKORC1 تصل أسرع للمدى العلاجي لـ INR، ولكنها أيضا تأخذ وقتا أقصر للوصول إلى قيمة INR أكثر من 4، ما يرتبط مباشرة مع النزيف [80].
تعدد أشكال CYP2C9 يفسر 10% من تغيرات الجرعة لدى المرضى[77]، أساسا بين المرضى ذوي العرق القوقازي، ولكن هذه المتغيرات نادرة الحدوث في أجناس الأمريكان الأفارقة ومعظم سكان آسيا [81]. هذه الأشكال المتعددة من CYP2C9 لا تؤثر على وقت الوصول إلى قيمة الـINR الفعالة للمريض بعكس VKORC1، ولكنها تقصّر الوقت المطلوب للوصول إلى قيمة INR أكبر من 4 [80].
على الرغم من أن الإختبارات الصيدلانية باستخدام علم الجينوم لجرعات الوارفارين واعدة، إلا أن استخدام الوارفارين في الممارسة السريرية ما يزال قضية خِلافيّة. في أغسطس 2009 خلُصت مراكز الرعاية الصحية والخدمات الطبية (وكالة فيدرالية ضمن وزارة الصحة الأمريكية) إلى أن: "الأدلة المتاحة للاختبارات الصيدلانية باستخدام علم الجينوم لا تثبت أن تأثير أَلائِل (بدائل) الجين CYP2C9 أو VKORC1 على التنبؤ بالاستجابة للوارفارين يُحسن النتائج الصحية في المستفيدين من الرعاية الطبية" [82]. وأظهر التحليل التلوي في 2014 أن استخدام الجرعات على أساس التركيب الوراثي للمريض لا تمنح فائدة بالنسبة لوقت العلاج داخل النطاق العلاجي، أو المنع المفرط لتخثر الدم (عندما يكون الـ INR خارج النطاق العلاجي وأكبر من 4)، أو انخفاض في حالة نزيف كبير أو حالة انصمام خثاري [83].
الاستطبابات
يُستخدم الوارفارين غالبا استخداماً وقائيا وليس علاجياً. هناك حالات مرضية تتسبب في تكوين خثرات دم بشكل متواصل. من أشهر تلك الحالات الرجفان الأذيني [84][85].
اقرأ أيضًا
دالتيبارين الصوديوم.
نوبة قلبية.
خثرة.
بيلة هيموغلوبينية ليلية انتيابية.
انصمام رئوي.
نوسكابين - يُمنع أخذ هذا الدواء مع الورفارين.
زيت السمك - كن متيقظا مع الجمع بينه وبين الوارفارين.
تخطيط كهربائية العضل.
التهاب الوريد الخثاري.
سكتة دماغية صامتة.
تفاعلات دوائية ضائرة.
قائمة منظمة الصحة العالمية للأدوية الأساسية.
مصادر
تصنيف:أدوية أساسية حسب منظمة الصحة العالمية
تصنيف:أدوية الكومارين
تصنيف:فينيلات
تصنيف:كيتونات
تصنيف:لاكتونات
تصنيف:ماسخات
تصنيف:مبيدات القوارض
تصنيف:مضادات فيتامين ك
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%88%D8%A7%D8%B1%D9%81%D8%A7%D8%B1%D9%8A%D9%86 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
719,
3155,
4374,
6090,
6619,
7179,
8224,
8825,
9351,
10249,
11222,
12397,
13844,
15282,
16815,
19080,
19845,
20614,
21762,
24068,
24257,
24651,
24915,
25258,
25526,
25708,
25794,
25911,
25989,
26065,
26123,
26196,
26295,
26457,
26584,
26687,
26779,
26878,
27024,
27190,
28238,
29250,
30669,
30879,
31671,
32885,
33835,
34013,
34419,
34490,
34891,
35084,
35193,
35312,
36217,
37313,
37859,
38041,
38330,
38783,
40175,
41184,
41969,
42198,
42525,
42833,
42971,
43035
],
"plaintext_end_byte": [
655,
3154,
4373,
6010,
6618,
7178,
8223,
8824,
9298,
10248,
11221,
12362,
13843,
15281,
16814,
19079,
19844,
20613,
21761,
24067,
24256,
24650,
24855,
25257,
25525,
25707,
25753,
25910,
25988,
26064,
26122,
26195,
26250,
26456,
26583,
26686,
26778,
26877,
27023,
27171,
28185,
29234,
30651,
30865,
31643,
32884,
33834,
33992,
34358,
34485,
34779,
34969,
35174,
35308,
36196,
37195,
37828,
37930,
38255,
38559,
40174,
41183,
41907,
42184,
42524,
42832,
42935,
43033,
43248
]
} | Когда был создан футбольный клуб «Рома»? | Рома (футбольный клуб) | russian | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
804
],
"minimal_answers_end_byte": [
819
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
«Ро́ма» (Italian: Associazione Sportiva Roma) — итальянский футбольный клуб из Рима. Цвета клуба: золотисто-жёлтый и пурпурно-красный[1]. Домашние матчи проводит на «Стадио Олимпико», вмещающем 72 698 зрителей. «Рома» принимала участие во всех сезонах Серии А с начала её основания (1929/30) кроме одного сезона в Серии B (1951/52). «Рома» является членом Ассоциации Европейских клубов.
История
Основание и первые сезоны
Спортивная ассоциация «Рома» была образована 7 июня 1927 года[2][3][4] (22 июля 1927 года — дата первого официального упоминания, или день «первого приказа») в результате объединения трёх римских команд: ФК «Роман», «Альба-Аудаче» и «Фортитудо-Про Рома» (первоначально команд было пять — «Роман», «Альба», «Аудаче», «Фортитудо» и «Про Рома»). Подобные слияния и переименования происходили по всей Италии во время фашистского режима с целью упростить географию футбола в больших городах, а также повысить среди народа известность и важность местных команд[5]. Инициатором появления «Ромы» и первым её президентом был секретарь римской федерации фашистской партии Итало Фоски, который желал создать в Вечном городе клуб, способный бороться с гегемонией североитальянских команд — «Дженоа», «Торино», «Ювентуса», «Интернационале» и «Болоньи». Избежать слияния удалось нескольким столичным клубам, наиболее известным из которых является «Лацио», благодаря усилиям его вице-президента генерала милиции Джорджио Ваккаро. Кроме того, можно упомянуть и «Трастевере», в то время игравший в третьем региональном дивизионе, а позже ставший одной из футбольных колыбелей будущей легенды «Ромы» Франческо Тотти. Первый матч «Рома» сыграла на «Мотовелодромо Аппио» 17 июля 1927 года против вице-чемпиона Венгрии ФК «Уйпешт» и выиграла со счётом .
«Рома» дебютировала в чемпионате Италии в сезоне 1927/28. Свой первый официальный матч «джалоросси» провели 25 сентября 1927 года, соперником был «Ливорно», римляне добились победы со счётом 2:0[6]. Заняв в своей подгруппе B 8-е место из 11-ти команд и не пробившись в финальный турнир, римская команда стала участником утешительного турнира — кубка КОНИ, где сначала выиграла свою подгруппу, а затем в финале в переигровке на нейтральном поле во Флоренции в дополнительное время одолела «Модену» — 2:1. В следующем сезоне 1928/29 «Рома» в подгруппе A разделила третью позицию с «Алессандрией», но по новой формуле турнира только победители подгрупп получали право играть в финале.
Зато этого с лихвой хватило для того, чтобы отобраться на следующий сезон в учреждённую Серию А, объединенный чемпионат без разделения на подгруппы. Таким образом, начиная с момента образования, «Рома» стала регулярным участником главного итальянского футбольного турнира, пропустив только один сезон за более чем 80 лет его существования. Уже в следующем сезоне 1930/31 «джалоросси» финишировали на втором месте, пропустив вперёд лишь «Ювентус», и впервые квалифицировались в международный турнир — Кубок Митропы. Уже тогда «Рома» показывала искромётный футбол, забив в 34 матчах 87 голов — казалось, «вечный» абсолютный рекорд клуба, побитый лишь в сезоне 2016/17 (но уже в 38 играх). Лучшими игроками этого периода в «Роме» были капитан Аттилио Феррарис, а также Гвидо Мазетти, Фульвио Бернардини и Родольфо Волк (первый игрок клуба, ставший лучшим бомбардиром Серии А в 1931-м году с 29 забитыми мячами).
Первое чемпионство и послевоенные неудачи
Под руководством Луиджи Барбезино, римский клуб был близок к своему первому титулу в сезоне 1935/36, отстав всего на одно очко от «Болоньи». Победы же в Серии А «Рома» добилась в сезоне 1941/42 под руководством Альфреда Шеффера. Лучшим бомбардиром команды стал местный воспитанник Амадео Амадеи.
В послевоенные годы «Рома» опустилась в нижнюю часть турнирной таблицы и в конце концов вылетела из Серии А в сезоне 1950/51. В следующем сезоне римляне под руководством Джузеппе Виани занимают первое место в Серии В и возвращаются в Серию А. Сезон 1951/52 остается единственным, который «Рома» провела в Серии В.
После возвращения в Серию А, «Рома» закрепилась в верхней части таблицы, ведомая такими игроками как Эджисто Пандольфини, Дино Да Коста и датчанин Хельге Броне. Самым успешным стал сезон 1954/55, в котором «джалоросси» под руководством англичанина Джесса Карвера заняли третье место, пропустив вперед «Милан» и «Удинезе». В сезоне 1960/61 «Рома» выиграла свой первый еврокубок — Кубок ярмарок (предшественник Кубка УЕФА), обыграв в финале «Бирмингем Сити» со счетом 4:2.
Через несколько лет «Рома» выиграла свой первый Кубок Италии в сезоне 1963/64 , переиграв в финале «Торино» 1:0.
Во время сезона 1964/65 тренер Хуан Карлос Лоренсо заявил, что клуб не в состоянии платить своим игрокам и вряд ли сможет позволить себе отправиться на следующую игру в Виченцу. Болельщики поддержали клуб, собирая пожертвования в пользу клуба. Банкротства удалось избежать с избранием нового президента клуба Франко Эванджелисти.
В сезоне 1968/69 был выигран второй Кубок Италии, а на следующий год и третий. Джакомо Лози установил в 1969 году клубный рекорд по количеству выступлений во всех соревнованиях — 450 матчей, этот рекорд продержится 38 лет, пока в 2007 году его не побьет Франческо Тотти.
Второе чемпионство, 90-е годы
Начало новой успешной страницы в истории «Ромы» ознаменовала победой в Кубке Италии 1979/80, где в финале по пенальти был обыгран «Торино». В сезоне 1980/81 «джалоросси» останавливаются в шаге от первого места, пропустив вперед «Ювентус», на следующий год команда занимает третье место позади «Ювентуса» и «Фиорентины». Тренером в то время был бывший игрок «Милана» Нильс Лидхольм, под руководством которого играли такие мастера как Бруно Конти, Агостино Ди Бартоломеи, Роберто Пруццо и Фалькао.
На следующий год, в сезоне 1982/83 «Рома» выигрывает титул в первый раз за 41 год. Следующий сезон «Рома» завершила на втором месте и выиграла Кубок Италии. Кроме того команда дошла до финала Кубка чемпионов. Финал с «Ливерпулем», который проходил на стадионе «волков», закончился вничью 1:1 (у «Ромы» отличился Пруццо), но в серии пенальти точнее оказались англичане. Успехи «Ромы» 1980-х годов закончились занятым вторым местом в чемпионате в сезоне 1985/86 и победой в Кубке Италии в том же сезоне, где в финале была обыграна «Сампдория» — 3:2.
После этого началось сравнительное снижение результатов в лиге, одним из немногих успехов было третье место в сезоне 1987/88. В 1991 году «Рома» дошла до финала Кубка УЕФА, где проиграла в «итальянском» финале «Интернационале» — 2:1. В том же сезоне клуб выиграл свой седьмой Кубок Италии и уступил «Сампдории» в Суперкубке. В 1993 году владельцем клуба становится Франко Сенси. До конца десятилетия «Рома» не имела высоких достижений, лучшим результатом было четвёртое место в сезоне 1997/98. В начале 1990-х в команде появился доморощенный нападающий Франческо Тотти, который продолжает оставаться знаковой фигурой клуба по сей день.
Новое тысячелетие
«Рома» вернула утраченные позиции в 2000-х, начав десятилетие с выигрыша своего третьего скудетто в сезоне 2000/01 под руководством Фабио Капелло. Судьба чемпионата была решена лишь в последнем туре — 17 июня 2001 года победив «Парму» 3:1, «Рома» опередила «Ювентус» на 2 очка. Капитан команды Франческо Тотти стал одним из главных героев в истории клуба, побив несколько рекордов. Другие важные игроки этого периода — Алдаир, Кафу, Габриэль Батистута и Винченцо Монтелла.
«Джалоросси» пытались защитить титул в следующем сезоне, но закончили его на втором месте уступив «Ювентусу» лишь одно очко. После этого «Рома» в течение 2000-х не раз останавливалась в шаге от трофеев. Она проиграла «Милану» 4:2 в финале Кубка Италии 2002/03 и уступила «Милану» в чемпионате, снова заняв второе место, в сезоне 2003/04.
С переходом Капелло в «Ювентус» в стане «джалоросси» началась настоящая чехарда с участием тренеров клуба. Чезаре Пранделли в начале сезона 2004/2005 покинул «Рому» по семейным обстоятельствам. Руководство клуба в экстренном порядке назначило немецкого специалиста Руди Фёллера, успевшего поиграть за «джалоросси» в бытность футболистом. Правда, и ему не удалось задержаться надолго — уже через месяц он был уволен. Вскоре «Рома» объявила о приглашении на пост главного тренера Луиджи Дельнери, ставшим уже третьим приглашённым тренером за год, однако Дельнери не продержался у руля команды и полгода. Четвёртым специалистом был назначен Бруно Конти, посвятивший римскому клубу многие годы — после завершения игровой карьеры Конти был назначен тренером молодёжных команд «Ромы»[7].
В следующем сезоне новый тренер римлян Лучано Спаллетти привёл команду к пятому месту, которое вскоре, после коррупционного скандала в итальянском футболе в 2006 году преобразовалось во второе место в сезоне 2005/06, позволив на следующий год участвовать в Лиге чемпионов (откуда команда вылетела в ¼ финала проиграв «Манчестер Юнайтед», разгромившего «Рому» на «Олд Траффорд» со счётом 7:1[8]). В том же сезоне в финале Кубка Италии клуб проиграл «Интернационале». В следующие несколько сезонов «джалоросси» упрочили свои позиции в лидирующей части турнирной таблицы серии А, дважды выиграли Кубок Италии, а сам Спаллетти был признан лучшим тренером страны. Несмотря на отсутствие трофеев, это десятилетие безусловно является лучшим в истории римлян. В 2008 году после смерти Франко Сенси президентом «Ромы» становится его дочь Розелла Сенси.
На четвёртый год своего пребывания в «Роме» Спаллетти провалил начало сезона и был уволен. Спасать положение римского клуба был вызван экс-наставник «Ювентуса» Клаудио Раньери. Он вернул команду в зону еврокубков, а в конце сезона и вовсе едва не опередил «Интер», который в итоге и стал обладателем скудетто. Клуб продлил контракт с Раньери до 2013 года. 8 июля 2010 года Розелла Сенси в связи финансовым положением решает продать клуб за 325 млн евро. В числе покупателей, в основном числятся три стороны: 1) Американские бизнесмены. 2) Арабские шейхи. 3) Имя же третьего возможного покупателя не разглашается в связи с пожеланием самого покупателя. (По некоторым данным это были бизнесмены из самой Италии)
В 2011 году Розелла Сенси подает в отставку и команду покупают американские акционеры во главе с Томасом Ди Бенедетто который и становится новым президентом. Новый владелец оплачивает долги команды и выделяет деньги на инфраструктуру и трансферы команды. Раньери был уволен в конце февраля 2011 года, когда «Рома» упустила победу в гостевом поединке против «Дженоа», ведя по ходу матча 3:0. До конца года тренером «Ромы» становится Винченцо Монтелла — один из лучших бомбардиров клуба за всю его историю, однако вскоре он уходит в «Катанию».
По окончании сезона новым тренером становится Луис Энрике. Команда делает ставку на молодых игроков (Ламелу, Борини и др.) и продает ветеранов команды (Тони, Лобонца), а не желавшие уйти редко попадают в состав. При Луисе Энрике команда занимает катастрофическое для последних лет 7 место и не попадает в еврокубки. Команда проигрывает в Лиге Европы словацкому «Словану». Сезон оканчивается для команды полным провалом.
После неудачных выступлений команды испанского тренера увольняют и новым тренером становится Зденек Земан, ранее руководивший командой в 1997-99 годах. Команда удерживает свой курс воспитания молодых игроков. Руководство объявляет о постройке нового стадиона. В связи с занятостью нового президента и не возможностью прямого слежения за делами клуба, новым президентом назначается другой хозяин клуба Джеймс Паллотта.
Земан налаживает игру в атаке, забывая об обороне. «Рома» показывает невнятный футбол, с обилием голов как в ворота соперника так и в свои ворота. Команда становится самой забивной в Италии и одной из таковых в Европе. После 22 тура «Рома» падает на 8-е место. Решается вопрос об отставке Земана, но руководство решает дать тренеру последний шанс. В 23-туре «Рома» терпит очередное поражение на своём поле от «Кальяри», пропустив при этом четыре мяча и руководство расторгает контракт с Земаном. Новым тренером до конца сезона становится Аурелио Андреадзоли (человек несколько лет работавший помощником главных тренеров с 2005 года).
12 июня 2013 года руководство «Ромы» объявило о том, что новым главным тренером римского клуба станет Руди Гарсия[9]. В команду приходят Адем Ляич из «Фиорентины» за 11 млн евро, Жервиньо из «Арсенала» за 8 млн, Кевин Стротман из ПСВ за 17 млн, Мехди Бенатия из «Удинезе» за 13,5 млн. Новый тренер заявляет, что цель «Ромы» — финишировать в пятёрке[10]. Впрочем сезон для команды начался крайне удачно — в первых 10 турах римляне одержали 10 побед и тем самым установили рекорд первенства по количеству побед на старте сезона[11], однако начиная с 13 тура клуб опустился на второе место и на нём закончил сезон. Летом 2014 года «Рома» укрепилась, подписав контракты с Эшли Коулом и Сейду Кейта, а также оформив трансферы Хуана Итурбе у «Вероны» за 22 млн евро и Костаса Маноласа из «Олимпиакоса» за 13 млн евро, и выкупила у «Кальяри» права на Раджу Наингголана, всего в летнее межсезонье потратив на трансферы 60 млн евро[12]. Подойдя к зимнему перерыву вновь на 2 месте в чемпионате Италии, «Рома» не смогла выйти в плей-офф Лиги Чемпионов и совершила ряд трансферов, обновив свою линию нападения, — за Сейду Думбия «Рома» заплатила ЦСКА 14,4 млн евро[13] и взяла Виктора Ибарбо в аренду из «Кальяри», расставшись с Маттиа Дестро (аренда в «Милан») и Марко Боррьелло (трансфер в «Дженоа»).
28 Мая 2017 года Франческо Тотти провел свой последний матч в футболке Ромы и был введен в зал славы клуба.
30 мая 2017 года пресс-служба римского клуб сообщила о прекращении сотрудничества с главным тренером команды Лучано Спаллетти, под руководством которого в сезоне 2016/17 «Рома» заняла в чемпионате Италии второе место.[14]
12 Июня 2017 года пресс-служба римского клуба сообщила о назначении на пост главного тренера Эусебио Ди Франческо.
Достижения
Национальные титулы
Чемпионат Италии (Серия A):
Чемпион (3): 1941/42; 1982/83; 2000/01
Вице-чемпион (13): 1930/31; 1935/36; 1980/81; 1983/84; 1985/86; 2001/02; 2003/04; 2006/07; 2007/08; 2009/10; 2013/14; 2014/15; 2016/17
Бронзовый призёр (7): 1928/29; 1931/32; 1954/55; 1974/75; 1981/82; 1987/88; 2015/16
Кубок Италии по футболу:
Обладатель Кубка (9): 1963/64, 1968/69,1979/80, 1980/81, 1983/84, 1985/86, 1990/91, 2006/07, 2007/08
Финалист Кубка (8): 1936/37, 1940/41, 1992/93, 2002/03, 2004/05, 2005/06, 2009/10, 2012/13
Суперкубок Италии по футболу:
Обладатель Суперкубка (2): 2001, 2007
Финалист Суперкубка (4): 1991, 2006, 2008, 2010
Серия B:
Победитель: 1951/52
Международные титулы
Лига чемпионов УЕФА / Кубок европейских чемпионов
Финалист: 1984
Лига Европы УЕФА / Кубок УЕФА
Финалист: 1991
Кубок обладателей кубков
Полуфинал: 1969/70
Кубок ярмарок
Обладатель: 1960/61
Англо-итальянский кубок
Обладатель: 1969
Малый Кубок мира
Финалист: 1953
Юношеские соревнования
Молодёжный чемпионат Италии по футболу
Победители (7): 1972\73, 1973\74, 1977\78, 1983\84, 1989\90, 2004\05, 2010\11
Молодёжный Кубок Италии по футболу
Обладатель (4): 1973\74, 1974\75, 1993\94, 2011\12
Молодёжный Суперкубок Италии по футболу
Обладатель: 2012
Кубок Виареджо по футболу
Обладатель (3): 1981, 1983, 1991
Молодёжный кубок ФИФА по футболу
Обладатель (2): 1980, 2003
Национальный чемпионат Студенты по футболу
Чемпион (5): 1980\81, 1982\83, 1992\93, 1998\99, 2009\10
Национальный Юниорский чемпионат по футболу
Чемпион (5): 1986\87, 1995\96, 1998\99, 2006\07, 2013\14
Стадионы
1927—1929 — «Мотовелодромо Аппио»
1929—1941 — «Кампо Тестаччо»
1941—1953 — Стадион Национальной Фашистской Партии
1953—1989 — «Стадио Олимпико»
1989 — «Стадио Фламинио» (в связи с ремонтными работами на Олимпийском стадионе по причине мирового футбольного чемпионата 1990 года)
1990—н.в. — снова «Стадио Олимпико»
В 2012 году президент клуба Джеймс Паллотта объявил о строительстве нового стадиона «Стадио делла Рома» на территории бывшего ипподрома «Тор де Валле» в одноименном районе Рима. Арену вместимостью 60 000 зрителей планируется открыть в 2016 году.
Цвета, символы, фанаты
Цвета
Командные цвета «Ромы» золотисто-жёлтый и пурпурно-красный (кроваво-красный)[1], также это официальные цвета города Рима. На протяжении всей истории клуба форма претерпела ряд изменений. Иногда на форме был более светлый красный (1960—1963, 2009—2012), или более блестящий жёлтый (1983—1984, 1992). Изначально шорты были белыми, но белый цвет был заменён чёрным в 1951 году, и изначальный цвет вернулся лишь в 1998 году. Изначально носки были черные, но они были заменены на красный цвет с жёлтой полоской. Такие носки использовались с 1951 года, кроме 1954 и 1998—2012 годов.
Символы
Нынешний логотип это видоизмененный первый логотип «Ромы». В 1978 году был создан новый логотип, чтобы создать бренд, который будет связан с продуктами клуба. На гербе изображена волчица с красным глазом. Герб был официальным с 1978 по 1997, затем был заменен на видоизмененный первый логотип «Ромы». Он был официальный с 1997 по 2013 год. На нём изображена волчица кормящая двух младенцев, по легенде эти младенцы основатели Рима, Ромул и Рем. В 2007 году, на 80-летие клуба был создан праздничный герб. На нём изображено сердце, а в нём написано «AS Roma, 1927—2007». В 2013 году новый президент клуба Джеймс Паллотта представил новый логотип клуба. Он отличается исчезновением вензеля «ASR», который был заменен на надпись «Roma». Образ волчицы и близнецов сменил цвет с чёрного на серебристый.
Талисман
Талисманом клуба является волк, с нашивкой на футболке цифр «753», которые символизируют год основания Рима.
Фанаты
Согласно опросу, проведенному Demos & Pi в сентябре 2012 года и опубликованной в газете La Repubblica, за «Рому» болеет 7,3 % итальянских болельщиков. Большинство болельщиков живут в центре Италии. Самая известная фанатская группировка «Ромы» — «Curva Sud». До 1987 года она была одна из самых сильных футбольных группировок болельщиков. В 1999 году членов группировки «Curva Sud» становиться меньше. Её вытесняет другая группировка «Roma Ultras».
Соперничество
Главным и непримиримым соперником «Ромы» является «Лацио», с которым они делят Олимпийский стадион. Их матчи именуются Римским дерби или Derby della Capitale. Матчи между ними являются одним из самых горячих и эмоциональных футбольных противостояний в мире. Во время матчей на стадионе и за его пределами нередко происходят вспышки насилия. Самый известный пример — смерть фаната «Лацио» Винченцо Папарелли в сезоне 1979/80 в результате выстрела из ракетницы со стороны фанатов «Ромы» из группировки Curva Sud, а также отмена игры 21 марта 2004 года, когда необоснованные слухи о смерти одного из болельщиков жёлто-красных на трибуне, привели к беспорядкам за пределами стадиона.
Также известно противостояние с «Наполи», известное под названием Derby del Sole (солнечное дерби). Два города находятся в непосредственной близости друг от друга, а клубы являются наиболее успешными в Центральной и Южной Италии. Также есть разногласия с командами «Катания» (после победы «Ромы» над сицилийским клубом со счетом 7:0) и «Сиена» (между «джаллоросси» и «бьянчонерри» появилась вражда, после двух отменённых игр, когда болельщики клубов выбрасывали на поле дымовые шашки, некоторые футболисты получили ранения).
Болельщики «Ромы» поддерживают дружеские связи с греческой командой «Панатинаикос».
Гимн клуба
Официальный гимн, слова Антонело Вендети и Серджио Бардотти, музыка Антонелло Вендетти и Гьямпейро Скаламонга, более известный под сценическим именем «гэпы и гэпы». Версия гимна в на YouTube.
Текущий состав
Основная команда
Данные приведены на 31 января 2019 года
Ульсен
Флоренци
Манолас
Фасио
Эмерсон
Де Росси
Наингголан
Стротман
Салах
Шаарави
Эдин Джеко
Один из вариантов основного состава «Ромы» в сезоне 2016/2017
Тренерский и медицинский штаб
Трансферы 2016/2017
Пришли
Ушли
* В аренду.
** Из аренды.
*** Свободный агент
Количество сезонов по дивизионам
Игроки
Закреплённые номера
№ 6 — Алдаир (номер был закреплен с 2003 по 2013 год)
Зал славы
7 октября 2012 официально был представлен зал славы клуба «Рома».
Амадеи Амадео (1936—1938, 1939—1948)
Аттилио Феррарис IV (1927-34, 1938-39)
Фульвио Бернардини (1928—1939)
Гвидо Мазетти (1930—1943)
Франко Танкреди (1977—1990)
Джакомо Лози (1954—1969)
Франческо Рокка (1972—1981)
Агостино Ди Бартоломей (1972—1975, 1976—1984)
Бруно Конти (1973-75, 1976-78, 1979-91)
Роберто Пруццо (1978—1988)
Себастьяно Нела (1981—1992)
Джузеппе Джаннини (1981—1996)
Карло Анчелотти (1979—1987)
Франческо Тотти (1992—2017)
Марко Дельвеккио (1995—2005)
Винченцо Монтелла (1999—2009)
Кафу (1997—2003)
Алдаир (1990—2003)
Фалькао, Пауло Роберто (1980—1985)
Капитаны
Аттилио Феррарис IV (1927—1934)
Фульвио Бернардини (1934—1939)
Гвидо Мазетти (1939—1943)
Амадео Амадеи (1943—1948)
Серджио Андреолли (1948—1950)
Армандо Тре Ре (1950—1953)
Аркадио Вентури (1953—1957)
Альсидес Гиджа (1957—1958)
Эджидио Гуарначчи (1958—1959)
Джакомо Лози (1959—1968)
Хоакин Пейро (1968—1970)
Луис Дель Соль (1970—1972)
Франко Кордова (1972—1976)
Серджио Сантарини (1976—1980)
Агостино Ди Бартоломей (1980—1984)
Карло Анчелотти (1984—1987)
Джузеппе Джаннини (1987—1996)
Амедео Карбони (1996—1997)
Абель Бальбо (1997—1998)
Алдаир (1998—1999)
Франческо Тотти (1999—2017)
Даниэле Де Росси (2017—н.в.)
Победители крупных международных соревнований
Чемпионы Мира
Аттилио Феррарис IV (1934)
Энрике Гуайта (1934)
Гвидо Мазетти (1934,1938)
Альдо Донати (1938)
Эральдо Мондзельо (1938)
Пьетро Серантони (1938)
Бруно Конти (1982)
Томас Бертольд (1990)
Руди Фёллер (1990)
Алдаир (1994)
Венсан Кандела (1998)
Кафу (2002)
Даниэле Де Росси (2006)
Франческо Тотти (2006)
Симоне Перротта (2006)
Чемпионы Европы
Венсан Кандела (2000)
Траянос Деллас (2004)
Рекордсмены клуба
Рекордсмены по количеству матчей за клуб
786 Франческо Тотти 1992—2017
561 Даниэле Де Росси 2001—н.в.
455 Джакомо Лози 1954—69
437 Джузеппе Джаннини 1981—96
436 Алдаир 1990—2003
Рекордсмены по количеству голов за клуб
307 Франческо Тотти 1992—2017
138 Роберто Пруццо 1978—88
111 Амадео Амадеи 1936—38, 1939—48
106 Родольфо Волк 1928—33
104 Педро Манфредини 1959—65
Главные тренеры и президенты за всю историю клуба
Список главных тренеров
Список президентов клуба
Спонсоры
Экономика
В 1999 году, в период президентства Франко Сенси, «Рома» стала акционерным обществом. С 2004 по 2011 год акции «Ромы» распределены между «Compagnia Italpetroli SpA», который владеет 67,1 %, и другими акционерами, владеющими оставшимися 32,9 %. Наряду с «Ювентусом» и «Лацио» «Рома» является одним из всего лишь трёх итальянских клубов, представленных на Итальянской фондовой бирже[15]. Согласно рейтингу «Deloitte Football Money League» в сезоне 2010/11 «Рома» был 15-м клубом в мире по уровню заработков (143,500 000 млн. €)[16]. По состоянию на 7 мая 2014 года, «Рома» находилась на 19-м месте среди богатейших футбольных клубов мира, по версии журнала «Forbes»[17]. 17 августа 2008 года председатель и владелец клуба Франко Сенси скончался после продолжительной болезни, место председателя клуба заняла его дочь Розелла.
В сезоне 2004/05 чистая прибыль «Ромы» составила € 10 091 689, а в следующем сезоне € 804 285 в сезоне 2005/06[18]. В сезоне 2006/07 был изменён учётный метод МСФО, вследствие чего результат сезона 2005/06 был переклассифицирован в чистый убыток в размере € 4 051 905, а в сезоне 2006/07 чистый доход составил € 10 135 539[19]. В сезоне 2007/08 «Рома» сделала чистую прибыль в размере € 18 699 219[20]. В сезоне 2009/2010 финансовые итоги оказались негативными: клуб потратил на 21,8 млн евро больше, чем заработал. При этом расходы выросли на 3,1 %, а доходы сократились на 14,8 % по сравнению с прошлым годом[21].
В сезоне 2010/11 убытки клуба составили € 30 млн. На должность президента был утверждён новый владелец клуба Томас ди Бенедетто, также были избраны члены совета директоров. Восемь мест в нём получили представители американского консорциума, купившего «Рому» у Сенси, а пять мест достались банку UniCredit, в счёт погашения долгов перед которым прежние владельцы выставили футбольный клуб на продажу[22].
«Рома» в массовой культуре
Песни
Композиторы Клаудио Вилла, Ландо Фиорини, Альваро Амичи, Антонелло Вендетти, Марк Кондини посвящают свои песни клубу.
Фильмы
Режиссёр Марио Боннар снял про клуб в 1932-м году фильм «Пять нулю», фильм повествует о великой победе над «Ювентусом» со счётом 5:0. Ещё про футбольный клуб «Рома» были сняты фильмы:
«Жирный ход обычных подозреваемых» (1959)
«Болельщик, судья и игрок» (1982)
«Братья Италии» (1989)
«Ультра» (1991)
«Фанат» (1999)
«Центр штрафной площади» (1996)
«Ешь, молись, люби» (2010)
Также у клуба есть канал Roma TV, газета Il Romanista, журнал La Roma.
Примечания
Ссылки
(in English)
on Facebook
on Twitter
on YouTube
(in Russian)
Категория:Футбольные клубы Италии
Категория:Спорт в Риме
Категория:Футбольные клубы Superleague Formula
Категория:ФК «Рома» | https://ru.wikipedia.org/wiki/%D0%A0%D0%BE%D0%BC%D0%B0%20%28%D1%84%D1%83%D1%82%D0%B1%D0%BE%D0%BB%D1%8C%D0%BD%D1%8B%D0%B9%20%D0%BA%D0%BB%D1%83%D0%B1%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
915,
6838,
10440,
12994,
15468,
18867,
19531,
20833,
21830,
22902,
24388,
25483,
26722,
27743,
28442,
30242,
32126,
35039,
37963,
38564,
41054,
41660,
42064,
45958,
46915,
49193,
50537,
53059,
55282,
56566,
57311,
57912,
59325,
60359,
63147,
65580,
66746,
67883,
69907,
72772,
74479,
76860,
80105,
82738,
84719,
87895,
91054,
94066,
96331,
98207,
101203,
103612,
105630,
110319,
114579,
115804,
117177,
121551,
123161,
125839,
126999,
130473,
132879,
134086,
136399,
139721,
140651,
140699,
144544,
144612,
145795,
147362,
149352,
149641,
151377,
152821,
152957,
156056,
158406,
160616,
162654,
162792,
162876,
164270,
164861,
166446,
166896,
168459,
172922,
173350,
176069,
178306,
179923,
182107,
183102,
184133,
187120,
187616,
189017,
189247,
190088,
191746,
193889,
196058,
196802,
198752,
200193,
202511,
204087,
204265,
206014,
209084,
209186,
210974,
213355,
215487,
215613,
217578,
218850,
220306,
221942,
223896,
224168,
225658,
228782,
229304,
230554,
232025,
233031,
234266,
234492,
234672,
236066,
237877,
240506,
242082,
244260,
245510,
245559,
247565,
249101,
250133,
254203,
257112
],
"plaintext_end_byte": [
914,
6837,
10439,
12993,
15467,
18817,
19530,
20782,
21829,
22901,
24387,
25482,
26721,
27742,
28441,
30189,
31927,
35038,
37962,
38445,
41053,
41659,
41902,
45957,
46914,
49192,
50497,
53058,
55281,
56565,
57213,
57911,
59324,
60335,
63045,
65473,
66745,
67851,
69808,
72771,
74351,
76859,
80104,
82737,
84604,
87894,
91053,
93955,
96330,
98206,
101202,
103611,
105628,
110318,
114578,
115502,
117176,
121550,
123160,
125745,
126895,
130472,
132787,
134085,
136343,
139720,
140585,
140698,
144503,
144611,
145794,
147361,
149284,
149639,
151376,
152753,
152955,
156055,
158405,
160615,
162497,
162791,
162874,
164269,
164860,
166444,
166895,
168458,
172859,
173349,
176068,
178304,
179922,
182098,
183101,
184132,
187119,
187615,
188894,
189245,
190087,
191745,
193888,
196057,
196801,
198681,
200192,
202509,
204001,
204263,
206013,
209013,
209185,
210973,
213354,
215380,
215612,
217576,
218849,
220305,
221941,
223828,
224167,
225657,
228781,
229303,
230552,
232024,
233030,
234234,
234413,
234670,
236065,
237876,
240505,
242081,
244259,
245454,
245557,
247564,
249100,
250031,
254202,
257049,
257191
]
} | สหรัฐอเมริกา ก่อตั้งขึ้นตั้งแต่ปีใด ? | ประวัติศาสตร์สหรัฐ | thai | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
วันเริ่มต้นประวัติศาสตร์ของประเทศสหรัฐมีการถกเถียงกันในหมู่นักประวัติศาสตร์. ตำรา เก่าเริ่มต้นในปี 1492 และเน้นพื้นหลังของยุโรปหรือเริ่มต้นในปี 1600 และเน้นชายแดน อเมริกัน. ในทศวรรษที่ผ่านมา, โรงเรียนและมหาวิทยาลัยอเมริกันมักจะขยับตัวกลับในเวลาที่จะรวมในยุคอาณานิคมมากขึ้นและมากขึ้นมากๆในประวัติศาสตร์ของชนพื้นเมือง.[1][2]
ชนพื้นเมืองที่เคยอาศัยอยู่ในส่วนที่เป็นประเทศสหรัฐในตอนนี้เป็นพันๆปี และพัฒนาวัฒนธรรมที่ซับซ้อนก่อนชาวอาณานิคมของยุโรปเริ่มที่จะมาถึง, ส่วนใหญ่จากประเทศอังกฤษ, หลังปี 1600. สเปนมีการตั้งถิ่นฐานในช่วงต้นในฟลอริด้าและทางตะวันตกเฉียงใต้, และฝรั่งเศส ตามแม่น้ำมิสซิสซิปปีและชายฝั่งอ่าวเมกซิโก. ในยุค 1770s, สิบสามอาณานิคมของอังกฤษมีจำนวนประชากรสองล้านครึ่งอยู่ตามแนวชายฝั่งมหาสมุทรแอตแลนติก, ทางตะวันออกของ แนวเทือกเขา Appalachian Mountains. หลังจากขับไล่ชาวฝรั่งเศสออกจากทวีปอเมริกาเหนือในปี 1763, อังกฤษกำหนดชุดของภาษีใหม่ในขณะที่ปฏิเสธข้อโต้แย้งของอเมริกันว่า ภาษีจำเป็นที่จะต้องเข้าสภา. แรงต้านภาษี, โดยเฉพาะอย่างยิ่ง ปาร์ตี้น้ำชาที่บอสตัน (English: Boston Tea Party) ในปี ค.ศ. 1774, นำไปสู่การลงโทษโดยสภาที่ได้รับการออกแบบในสิ้นสุดตัวเองของรัฐบาลในแมสซาชูเซต. ทั้ง 13 อาณานิคมรวมตัวกันในสภาคองเกรสที่นำไปสู่ความขัดแย้งที่ใช้อาวุธในเดือนเมษายน ค.ศ. 1775. ในวันที่ 4 กรกฎาคม ค.ศ. 1776 สภาคองเกรสลงมติยอมรับประกาศอิสรภาพ (English: Declaration of Independence)ที่เขียนขึ้นโดย ทอมัส เจฟเฟอร์สัน, ที่ประกาศว่ามนุษย์ทุกคนถูกสร้างขึ้นให้เท่าเทียมกัน และก่อตั้งประเทศใหม่ นั่นก็คือสหรัฐ.
ด้วยกำลังทหารขนาดใหญ่และการสนับสนุนทางการเงินจากฝรั่งเศส และความเป็นผู้นำทางทหารโดยนายพล จอร์จ วอชิงตัน, ผู้รักชาติทั้งหลายชาวอเมริกันชนะสงครามปฏิวัติ" สนธิสัญญาสันติภาพปี ค.ศ. 1783 ให้ประเทศใหม่, ส่วนใหญ่ของดินแดนทางตะวันออกของแม่น้ำมิสซิสซิปปี (ยกเว้น ฟลอริดา). รัฐบาลแห่งชาติ ที่จัดตั้งขึ้นตามข้อบังคับของสมาพันธ์(English: Articles of Confederation) ได้พิสูจน์แล้วว่าใช้ไม่ได้ผลที่จะให้ความมั่นคงกับประเทศใหม่, เนื่องจาก มันไม่มีอำนาจในการเก็บภาษีและไม่มีผู้บริหารระดับสูง. การประชุมที่จัดขึ้นในฟิลาเดลในปี ค.ศ. 1787 เพื่อปรับปรุงข้อบังคับของ สมาพันธ์ส่งผลให้มีการเขียนรัฐธรรมนูญใหม่แทน, ซึ่งถูกยอมรับในปี ค.ศ. 1789. ใน ค.ศ. 1791 บัญญัติว่าด้วยสิทธิพื้นฐานของพลเมือง (English: Bill of Rights) ถูกเพิ่มเข้ามาเพื่อรับประกันสิทธิ์ต่างๆที่ขอบธรรมสำหรับการปฏิวัติ. ด้วยการมี จอร์จ วอชิงตัน เป็นประธานาธิบดีคนแรกของประเทศและ อเล็กซานเดอร์ แฮมิลตัน เป็นที่ปรึกษาทางการเมืองและทางการเงินของเขา, รัฐบาลแห่งชาติที่แข็งแกร่งได้ถูกสร้างขึ้น. เมื่อ โทมัส เจฟเฟอร์สัน ได้เป็นประธานาธิบดี เขาได้ซื้อหลุยเซียนาจากฝรั่งเศส ทำให้ขนาดของประเทศใหญ่ขึ้นเป็นสองเท่า และได้ทำสงครามกับอังกฤษครั้งที่สองและครั้งสุดท้ายในปี ค.ศ. 1812
ประเทศถูกผลักดันโดยความเชื่อของชะตากรรมที่เด่นชัด ได้ขยายตัวเกินกว่าการซื้อลุยเซียนา ตลอดทางไปถึงแคลิฟอร์เนียและโอเรกอน. การขยายตัวได้รับการผลักดันโดยการแสวงหา ที่ดินราคาไม่แพงสำหรับเกษตรกรเสรีชน, และเจ้าของทาส. การขยายตัวนี้เป็นที่ถกเถียงกัน และ เติมเชื้อความแตกต่างที่แก้ไขไม่ได้ระหว่างภาคเหนือและภาคใต้ในเรื่องสถาบันของการเป็นทาสในดินแดนใหม่. ทาสถูกยกเลิกในทุกรัฐทางตอนเหนือของเส้นเมสัน-ดิกซันในปี 1804, แต่ภาคใต้ยังคงมีกำไรจากสถาบัน, เพื่อผลิตฝ้ายส่งออกมูลค่าสูงเพื่อป้อนความต้องการที่สูงขึ้น ในยุโรป. ในการเลือกตั้งประธานาธิบดีปี 1860 ของนักต่อต้านการเป็นทาสพรรครีพับลิกัน, อับราฮัม ลินคอล์น จุดชนวนให้เกิดการแยกตัวของเจ็ด (ต่อมาเป็นสิบเอ็ด)รัฐทาสที่จัดตั้งสมาพันธรัฐในปี ค.ศ. 1861. สงครามกลางเมืองอเมริกัน (1861-1865) นผลที่ตามมา, ด้วยวัสดุท่วมท้นและข้อได้เปรียบกำลังคนของภาคเหนือเป็นตัวชี้ขาดในสงครามที่ยาวนาน, ในขณะที่ อังกฤษและฝรั่งเศสยังคงเป็นกลาง. ผลก็คือ การฟื้นฟูของสหภาพ, การแร้นแค้นของภาคใต้, และการเลิกทาส. ในยุคบูรณะ (English: Reconstruction era)(1863-1877), สิทธิตามกฎหมายและการออกเสียงลงคะแนนถูกขยายไปยังเสรีชน(เสรีทาส). รัฐบาลแห่งชาติเกิดความเข้มแข็งมากขึ้น และเพราะ คำแปรญัตติที่สิบสี่ (English: Fourteenth Amendment) มันได้รับหน้าที่ที่ชัดเจนในการปกป้องสิทธิส่วนบุคคล. อย่างไรก็ตาม กฎหมายที่แยกจากกันและกฎหมายของ จิม โครว ทิ้งให้คนผิวดำเป็นพลเมืองชั้นสองในภาคใต้ที่มีอำนาจน้อยจนถึงปีค.ศ. 1960
ประเทศสหรัฐกลายเป็นมหาอำนาจทางอุตสาหกรรมชั้นนำของโลกในช่วงเปลี่ยนศตวรรษที่ 20 เนื่องจากการระเบิดของผู้ประกอบการในภาคตะวันออกเหนือและตะวันตกกลาง และการมาถึงของแรงงานอพยพและเกษตรกรจากยุโรปนับล้าน. เครือข่ายทางรถไฟของประเทศถูกทำให้ลำเร็จโดยการทำงานของผู้อพยพชาวจีน, และการทำเหมืองแร่และโรงงานขนาดใหญ่สร้าง งานอุตสาหกรรมให้กับภาคตะวันออกเฉียงเหนือและตะวันตกกลาง. ความไม่พอใจของมวลชนกับการทุจริตและการเมืองแบบดั้งเดิมกระตุ้นการเคลื่อนไหวก้าวหน้า, จากยุค 1890 ถึงยุค 1920, ซึ่งนำไปสู่การปฏิรูปมากมายรวมทั้งการแก้ไขรัฐธรรมนูญครั้งที่ 16 ถึง 19 ซึ่งทำให้เกิดภาษีเงินได้ของรัฐบาลกลางการเลือกตั้งวุฒิสภาโดยตรงข้อห้าม[3]และสิทธิในการออกเสียงของสตรี ในขั้นแรกการเป็นกลางในช่วงสงครามโลกครั้งที่หนึ่ง สหรัฐอเมริกาได้ประกาสสงครามกับเยอรมนีในปี 1917 และได้รับชัยชนะจากพันธมิตรในปีต่อไป สตรีได้รับสิทธิในการลงคะแนนเสียงในปีค.ศ. 1920 โดยชาวพื้นเมืองอเมริกันได้รับสัญชาติและสิทธิในการลงคะแนนเสียงในปีค.ศ. 1924
ตอนแรกเป็นกลางในสงครามโลกครั้งที่หนึ่ง, สหรัฐประกาศสงครามกับเยอรมนีในปี ค.ศ. 1917 และให้เงินสนับสนุนพันธมิตรจนได้ชัยชนะในปีต่อมา. หลังจากทศวรรษที่เจริญรุ่งเรืองในปี 1920, วอลล์สตรีทพังทลายในปี ค.ศ. 1929 ทำเครื่องหมาย การเริ่มต้นของการตกต่ำครั้งยิ่งใหญ่ที่แผ่ขยายทั่วโลกนานนับทศวรรษ แฟรงคลิน ดี โรสเวลต์ แห่งพรรคเดโมแครตจบการครอบงำทำเนียบขาวของพรรครีพับลิกันและดำเนินการโปรแกรมของเขา, ข้อตกลงใหม่, เพื่อบรรเทา, กู้คืน และปฏิรูป. พวกเขาให้คำนิยามว่าเป็น เสรีนิยมอเมริกันที่ทันสมัย. เหล่านี้รวมถึง การบรรเทาการว่างงาน, การสนับสนุนเกษตรกร, การประกันสังคม และค่าจ้างขั้นต่ำ. หลังจากที่ญี่ปุ่นโจมตี เพิร์ล ฮาร์เบอร์ เมื่อวันที่ 7 ธันวาคม ค.ศ. 1941 สหรัฐเข้าร่วม สงครามโลกครั้งที่สองร่วมกับพันธมิตร, โดยเฉพาะอย่างยิ่ง สหราชอาณาจักร และสหภาพโซเวียต. มันจ่ายทุนสงครามให้พันธมิตร และช่วยให้ชนะนาซีเยอรมนีในยุโรปและด้วยการทิ้งระเบิดปรมาณูที่ประดิษฐ์คิดค้นขึ้นใหม่, ที่ญี่ปุ่นในตะวันออกไกล
สหรัฐและสหภาพโซเวียตกลายเป็นมหาอำนาจคู่แข่งหลังสงครามโลกครั้งที่สอง. ราวปี ค.ศ. 1947 พวกเขาเริ่มสงครามเย็น, การเผชิญหน้ากับอีกคนหนึ่งโดยทางอ้อม, ในการแข่งขันด้านอาวุธ และอวกาศ, นโยบายต่างประเทศของสหรัฐในช่วงสงครามเย็นถูกสร้างขึ้นรอบๆการสนับสนุนของยุโรปตะวันตกและญี่ปุ่นและ นโยบายของ "เอาอยู่" หรือการหยุดการแพร่กระจายของลัทธิคอมมิวนิสต์. สหรัฐมีส่วนร่วมในสงครามเกาหลีและเวียดนามเพื่อ หยุดการแพร่กระจาย. ในปี ค.ศ.1960 โดยเฉพาะอย่างยิ่งเนื่องจาก ความแรงของการเคลื่อนไหว ของสิทธิมนุษยชน, คลื่นอื่นๆของการปฏิรูปทางสังคมถูกนำมาใช้ในระหว่างการบริหารของ เคนเนดี้และจอห์นสัน, การบังคับใช้สิทธิตามรัฐธรรมนูญของการลงคะแนน และ เสรีภาพในการเคลื่อนไหวของคนแอฟริกันอเมริกันและชนกลุ่มน้อยอื่นๆ, การเคลื่อนไหวของชาวอเมริกันพื้นเมืองก็เพิ่มขึ้นด้วย. สงครามเย็นสิ้นสุดลงเมื่อสหภาพโซเวียตสลายในปี ค.ศ. 1991 ปล่อยให้ประเทศสหรัฐเป็นมหาอำนาจของโลกเพียงผู้เดียว. เมื่อศตวรรษที่ 21 เริ่มต้น, ความขัดแย้งระหว่างประเทศมีศูนย์กลางรอบๆตะวันออกกลางและแพร่กระจายไปยังเอเชียและแอฟริกา ตามด้วยการโจมตี 11 กันยายน โดยอัล กออิดะห์ ต่อประเทศสหรัฐ. ในปี ค.ศ. 2008 ประเทศสหรัฐมีวิกฤตทางเศรษฐกิจที่เลวร้ายที่สุดนับตั้งแต่ภาวะเศรษฐกิจตกต่ำครั้งใหญ่ ซึ่งตามมาด้วยอัตราการเจริญเติบโตทางเศรษฐกิจที่ช้ากว่าปกติในยุค 2010
สมัยก่อนโคลัมบัส
นักวิทยาศาสตร์ตั้งสมมุติฐานว่ามนุษย์มาถึงทวีปอเมริกาครั้งแรกเมื่อ 40,000 ถึง 14,000 ปีก่อนในยุคน้ำแข็ง เพราะระดับน้ำทะเลลดลงทำให้ช่องแคบแบริ่งตื้นเขิน ทำให้ชาวเอเชียอพยพเข้ามากลายเป็นชาวอินเดียนพื้นเมืองต่างๆทั้งทวีปอเมริกาในปัจจุบัน
ผิดกับอเมริกากลาง ในอเมริกาเหนือชาวพื้นเมืองไม่ได้สร้างอารยธรรมที่ยิ่งใหญ่ดังเช่นอัซเทคหรืออินคา แต่เป็นชนเผ่าเร่ร่อนล่าสัตว์ (Hunter-gatherers) หรือบางพวกก็ตั้งถิ่นฐานทำเกษตรกรรม อารยธรรมเกษตรกรรมในอเมริกาเหนือที่พัฒนามากที่สุดคือวัฒนธรรมมิสซิสซิปปี (Mississipian Culture) ในประมาณค.ศ. 1000 ถึง ค.ศ. 1400 มักจะสร้างมูลดินขึ้นมาเพื่ออยู่อาศัยและพิธีกรรมศาสนา จึงเรียกว่า พวกสร้างมูลดิน (Mound-builders) ชุมชนที่ใหญ่ที่สุดของวัฒนธรรมมิสซิสซิปปี คือคาโฮเกีย (Cahokia) ในรัฐอิลลินอยส์
อาณานิคมของยุโรป
แม้โคลัมบัสจะพบทวีปอเมริกาในค.ศ. 1492 แต่ก็วนเวียนอยู่ในหมู่เกาะแคริบเบียนเท่านั้น ในค.ศ. 1513 ควน ปองเซ เด เลออง (Juan Ponce de Léon) นักสำรวจชาวสเปนมาฟลอริดาเพื่อค้นหาน้ำพุแห่งความเยาว์วัย (Fountain of Youth) สเปนเป็นชาติแรกที่ตั้งอาณานิคมในอเมริกา แต่แค่ผิวชายฝั่ง ไม่เข้าไปลึกมาก ในค.ศ. 1540 เดอ โคโรนาโด (Francisco Vásquez de Coronado) ชาวสเปนสำรวจทะเลทรายทางตะวันออกเฉียงใต้ของสหรัฐฯ พบแกรนด์แคนยอน
ส่วนอังกฤษนั้นตั้งอาณานิคมแรกคือเจมส์ทาวน์ (Jamestown) ในค.ศ. 1607 ตั้งชื่อตามพระนามพระเจ้าเจมส์ที่ 1 โดยบริษัทลอนดอนเวอร์จิเนีย (London Virginia Company) ซึ่งจะพัฒนากลายเป็นรัฐเวอร์จิเนีย ในปีแรกๆฤดูหนาวนั้นหนาวเหน็บผู้คนล้มตายเพราะขาดอาหาร แต่ด้วยความช่วยเหลือของชาวพื้นเมือง ทำให้อาณานิคมยังอยู่รอด และได้ยาสูบ (tobacco) เป็นพืชเศรษฐกิจชนิดใหม่ ปลูกเป็นไร่ขนาดใหญ่ (Plantation) มีการนำทาสผิวดำจากแอฟริกามาใช้
ในอังกฤษเกิดสงครามกลางเมืองอังกฤษและการกดขี่ศาสนา ทำให้พวกนิกายต่างๆหลบหนีมาอเมริกาเพื่อตั้งรกราก พวกพิลกริม (Pilgrim) นั่งเรือเมย์ฟลาวเวอร์ (Mayflower) มาตั้งอาณานิคมพลิมัธ ประกาศ Mayflower Compact เพื่อปกครองตนเอง พวกกลุ่มเพียวริตัน ได้รับการกดขี่ในอังกฤษหนีมาตั้งอาณานิคมอ่าวแมสซาชูเซตต์ (Massachusette Bay) เพื่อสร้างดินแดนในอุดมคติของนิกายพิวริตัน ในค.ศ. 1675 ชาวอาณานิคมทำสงครามกับชาวพื้นเมืองอย่างดุเดือดในสงครามพระเจ้าฟิลิป (King Philip's War) ทำให้ชาวพื้นเมืองและชาวอาณานิคมล้มตายมากมาย อาณานิคมพลีมัธและแมสซาชูเซตรวมกันในค.ศ. 1691 รวมเรียกว่า อังกฤษใหม่ (New England)
ชาติอื่นก็มาตั้งอาณานิคมเช่นกัน ในค.ศ. 1638 สวีเดนตั้งอาณานิคมเดลาแวร์ แต่ถูกฮอลันดายึด ฮอลันดาตั้งอาณานิคมเนเธอร์แลนด์ใหม่ (New Netherlands) ประกอบด้วยนิวอัมสเตอร์ดาม (New Amsterdam กลายเป็นนิวยอร์ก) นิวเจอร์ซีย์ เดลาแวร์ และเพนซิลเวเนีย การแข่งขันระหว่างอังกฤษและฮอลันดาทำให้เกิดสงครามอังกฤษ-ฮอลันดา ในค.ศ. 1652 ถึง ค.ศ. 1674 อังกฤษยึดนิวอัมสเตอร์ดามได้ในค.ศ. 1664 และสนธิสัญญาบรีดาในค.ศ. 1667 ยกนิวเนเธอร์แลนด์ให้อังกฤษ
พระเจ้าชาร์ลส์ที่ 2 แห่งอังกฤษ พระราชทานรางวัลแก่ผู้ที่ช่วยพระองค์ขึ้นกลับครองบัลลังก์ โดยทรงแต่งตั้งให้เป็นเจ้าครองที่ดินในค.ศ. 1663 (Lord Proprietor) เพื่อไปตั้งอาณานิคมส่วนตัวในอเมริกาทางใต้ของเวอร์จิเนีย กลายเป็นแคโรไลนา (Carolina) ซึ่งเป็นสถานที่ปลูกพืชเขตร้อนมีค่า เช่น อ้อย และใช้ทาสผิวดำจำนวนมากเป็นแรงงาน แต่การกดขี่พวกอูเกอโนต์ในฝรั่งเศสและอาณานิคม ทำให้พวกอูเกอโนต์หลบหนีมาอยู่อาณานิคมอังกฤษ ทำให้สองชาติเกิดความขัดแย้งแย่งที่ทำมาหากิน
สงครามใหญ่สี่ครั้ง
สงครามในยุโรปลุกลามมาถึงอาณานิคมด้วย ในค.ศ. 1689 สงครามมหาสัมพันธมิตร (War of the Grand Alliance) เมื่อชาติต่างๆรวมทั้งอังกฤษรวมตัวกันต่อต้านฝรั่งเศส กลายเป็นสงครามพระเจ้าวิลเลียม (King William's War) ในอาณานิคม อังกฤษยึดพอร์ต รอยัล (Port Royal) ในอคาเดีย (Acadia) ของฝรั่งเศส และบุกควิเบก เมืองหลวงของอาณานิคมฝรั่งเศส แต่ไม่สำเร็จและถูกยึดพอร์ตรอยัลคืน จนสงครามในยุโรปสิ้นสุดในค.ศ. 1697
ในค.ศ. 1702 สงครามสืบราชสมบัติสเปน (War of the Spanish Succession) กลายเป็นสงครามพระนางแอนน์ (Queen Anne's War) ในอาณานิคม ด้วยความช่วยเหลือของเผ่าอิโรคอยส์ ทำให้บริเตนได้อคาเดีย ซึ่งเปลี่ยนชื่อเป็นสกอตแลนด์ใหม่ หรือโนวา สโกเทีย (Nova Scotia) และอ่าวฮัดสัน (Hudson Bay) อันเป็นแหล่งขนบีเวอร์สำคัญ
ในค.ศ. 1739 บริเตนทำสงครามกับสเปนในสงครามหูของเจงกินส์ (War of Jenkin's Ear) ในค.ศ. 1740 สงครามสืบราชสมบัติออสเตรีย (War of the Austrian Succession) กลายเป็นสงครามพระเจ้าจอร์จ (King George's War) ในอาณานิคมเมื่อฝรั่งเศสเข้าพวกสเปน อังกฤษยึดหลุยส์บอร์ก (Louisbourg) จากฝรั่งเศส แต่ฝรั่งเศสบุกทำลายนิวยอร์ก จนค.ศ. 1748 สงครามสิ้นสุด กลับสู่สภาพเดิม แต่ไม่นานนัก สงครามฝรั่งเศสและอินเดียน (French and Indian Wars) คู่กับสงครามเจ็ดปี (Seven Years' War) ในยุโรป ในตอนแรกบริเตนพ่ายแพ้ยับเยิน แต่มองต์คาล์ม (Montcalm) นำทัพอาณานิคมชนะฝรั่งเศสและชาวพื้นเมืองได้ ในค.ศ. 1759 บริเตนขนะฝรั่งเศสในการรบที่ราบอับฮราฮัม (Plains of Abraham) ยึดเมืองควิเบกได้ ในค.ศ. 1763 สนธิสัญญาปารีส ยกแคนาดาทั้งหมดให้บริเตน อาณานิคมบริเตนจึงขยายกว้างใหญ่ไพศาล
การปฏิวัติอเมริกา
โคลัมบัส เดินเรือจากยุโรปไปทางทิศตะวันตกเพื่อหาเส้นทางเดินเรือใหม่ เขาไปเจอกับทวีปๆนึง เขาคิดว่าทวีปนั้นคืออินเดีย จนกระทั่งต่อมา ประเทศสเปนกับประเทศโปรตุเกสได้เดินทางลงใต้ ทำให้พบทวีปอเมริกาใต้ ซึ่งพบทองคำเป็นจำนวนมาก ทำให้สหราชอาณาจักรและประเทศฝรั่งเศสซึ่งเดินทางไปที่หลัง จำใจต้องขึ้นไปทางทิศเหนือ อังกฤษได้ขึ้นฝั่งที่บริเวณตะวันออก แถบนิวอิงแลนด์ นิวยอร์ก ฝรั่งเศสขึ้นฝั่งที่ตอนกลาง บริเวณลุ่มแม่น้ำมิสซิสซิปปี ทั้งสองได้ต่างกันขยายอาณานิคม ทำให้ทั้งสองได้มาปะทะกันในที่สุด ทำให้เกิด สงคราม 7 ปี ในทวีปยุโรป ฝรั่งเศสเป็นฝ่ายแพ้อังกฤษ ทำให้อังกฤษเข้ายึดดินแดนเดิมของฝรั่งเศส
สหรัฐช่วงแรก (ค.ศ. 1789 ถึง ค.ศ. 1824)
สมัยของประธานาธิบดีจอร์จ วอชิงตัน (ค.ศ. 1789 - 1797)
จอร์จ วอชิงตัน ได้รับเลือกตั้งอย่างเป็นเอกฉันท์ให้เป็นประธานาธิบดีคนแรกของสหรัฐเมื่อค.ศ. 1789 ผลงานชิ้นแรกของวอชิงตันคือการยกคำประกาศสิทธิหรือรัฐบัญญัติสิทธิ (Bill of Rights) ขึ้นเป็นมาตราในรัฐธรรมนูญ (Amendments) สิบมาตราแรกเมื่อค.ศ. 1791 อเล็กซานเดอร์ แฮมิลตัน (Alexander Hamilton) รัฐมนตรีว่าการกระทรวงการคลัง (Secretary of Treasury) เป็นผู้วางรากฐานทางเศรษฐกิจของสหรัฐในช่วงแรก โดยการจัดตั้งธนาคารแห่งชาติสหรัฐ การกำหนดภาษีเงินได้และภาษีศุลกากร และการส่งเสริมอุตสาหกรรมภายในประเทศ โดยมุ่งเน้นการค้าขายกับสหราชอาณาจักรหรือบริเทนอดีตเจ้าอาณานิคมเป็นหลัก โดยการทำสนธิสัญญาสงบศึกและสนธิสัญญาการค้ากับบริเทน คือ สนธิสัญญาเจย์ (Jay Treaty) ในปีค.ศ. 1794 นอกจากนี้วอชิงตันยังวางระบบตุลาการของประเทศผ่านทางกฎหมายตุลาการ (Judiciary Act) ค.ศ. 1789 ให้ศาลฎีกาสูงสุดเป็นศาลสูงสุดของประเทศเหนือศาลของแต่ละรัฐ ประชาชนในรัฐเพนซิลวาเนียผู้ไม่พอใจการเก็บภาษีวิสกี้ของรัฐบาลกลางก่อการกบฏวิสกี้ (Whiskey Rebellion) ในค.ศ. 1794 ประธานาธิบดีวอชิงตันจึงเกณฑ์ไพร่พลจากรัฐต่างๆมาทำการปราบกบฏ นับเป็นครั้งแรกที่รัฐบาลกลางใช้อำนาจทางทหารโดยใช้กำลังรวมจากหลายรัฐ และเป็นครั้งเดียวที่ประธานาธิบดีเป็นผู้นำทัพด้วยตนเอง
ในสมัยนี้เองที่เกิดความแตกแยกทางการเมืองขึ้นในหมู่ผู้นำของสหรัฐ ฝ่ายเฟเดอรัลลิสต์ (Federalist) หรือฝ่ายสมาพันธรัฐนิยม นำโดยรัฐมนตรีการคลังอเล็กซานเดอร์ แฮมิลตัน มีนโยบายรวมอำนาจทั้งทางการเมืองและเศรษฐกิจเข้าสู่รัฐบาลกลาง ส่งเสริมเศรษฐกิจและอุตสาหกรรมของสหรัฐ โดยมีบริเทนเป็นแบบอย่างในทางเศรษฐกิจและการเมือง และฝ่ายรีพับบลีกัน (Republican) มีแนวคิดสาธารณรัฐนิยม (Republicanism) แบบสุดโต่ง นำโดยโธมัส เจฟเฟอร์สัน รัฐมนตรีต่างประเทศ (Secretary of State) และเจมส์ แมดิสัน (James Madison) ซึ่งมีความเห็นว่าการรวมอำนาจเข้าศูนย์กลางเป็นการลิดรอนสิทธิเสรีภาพของประชาชนและแต่ละรัฐ การส่งเสริมอุตสาหกรรมจะเป็นการทำลายชีวิตเกษตรกรรมของชาวอเมริกันส่วนใหญ่ในขณะนั้น และให้การสนับสนุนการปฏิวัติฝรั่งเศส ซึ่งการแตกแยกทางการเมืองออกเป็นสองฝ่ายนำไปสู่การจัดตั้งพรรคการเมืองสองพรรคแรกของสหรัฐ ได้แก่ พรรคเฟเดอรัลลิสต์ (Federalist Party) และพรรครีพับบลีกัน (Republican Party) เกิดเป็นระบบพรรคการเมืองครั้งที่หนึ่ง (First Party System) ในประวัติศาสตร์สหรัฐ ฝ่ายประธานาธิบดีวอชิงตันแม้ว่าจะสนับสนุนนโยบายของพรรคเฟเดอรัลลิสต์ แต่ก็ไม่เห็นด้วยกับการจัดตั้งพรรคการเมืองเพราะเป็นการสร้างความแตกแยกภายในรัฐบาล
ประธานาธิบดีวอชิงตันดำรงตำแหน่งอยู่เป็นเวลาสองสมัย และปฏิเสธที่จะดำรงตำแหน่งเป็นสมัยที่สาม จนเกิดเป็นธรรมเนียมว่าประธานาธิบดีสหรัฐจะอยู่ในตำแหน่งได้ไม่เกินสองสมัย
สมัยของประธานาธิบดีจอห์น แอดัมส์ (ค.ศ. 1797 - 1801)
รองประธานาธิบดีจอห์น แอดัมส์ (John Adams) จากพรรคเฟเดอรัลลิสต์ สามารถเอาชนะโธมัส เจฟเฟอร์สันได้ในการเลือกตั้งเมื่อค.ศ. 1797 ขึ้นดำรงตำแหน่งเป็นประธานาธิบดีคนที่สอง ในขณะเดียวกันนั้นเองรัฐบาลสาธารณรัฐที่หนึ่งของฝรั่งเศสหลังจากที่ทราบว่าสหรัฐได้มีสัมพันธ์ทางการค้ากับบริเทน ซึ่งในขณะนั้นบริเทนและฝรั่งเศสกำลังทำสงครามขับเคี่ยวกันอยู่ จึงส่งทูตชื่อว่า เอมองต์-ชาร์ลส์ เยเนต์ (Edmond-Charles Genêt) มาเพื่อทวงสัญญาพันธมิตรตั้งแต่ครั้งสงครามปฏิวัติอเมริกาและเรียกร้องให้รัฐบาลยุติความสัมพันธ์กับบริเทน แม้ว่าทูตฝรั่งเศสจะได้รับการสนับสนุนจากนักการเมืองและประชาชนฝ่ายรีพับบลีกันเป็นอย่างมาก แต่ประธานาธิบดีแอดัมส์และฝ่ายเฟเดอรัลลิสต์ได้ใช้การกระทำนี้ เรียกว่า เหตุการณ์เอ็กซ์วายซี (XYZ Affair) ในการตีความว่าฝรั่งเศสคุกคามอธิปไตยของสหรัฐ เมื่อเจรจาไม่เป็นผลสำเร็จ ฝรั่งเศสจึงใช้นโยบายเข้าปล้นเรือสินค้าของสหรัฐอเมริก ทำให้สถานะความสัมพันธ์ระหว่างสหรัฐและฝรั่งเศสอยู่ในฐานะกึ่งสงคราม (Quasi-War)
รัฐบาลเฟเดอรัลลิสต์ของนายแอดัมส์เห็นว่าการที่ฝ่ายรีพับบลีกันให้การสนับสนุนฝรั่งเศสนั้นเป็นภัยต่อประเทศชาติ จึงออกกฎหมายต่างด้าวและการจลาจล (Alien and Sedition Act) ในค.ศ. 1798 ลิดรอนสิทธิเสรีภาพในการแสดงความคิดเห็นทางการเมือง
ในค.ศ. 1800 ประธานาธิบดีแอดัมส์ส่งตัวแทนไปยังฝรั่งเศสเพื่อเจรจาขอสงบศึกได้เป็นผลสำเร็จ
ศควรรษที่ 19
สมัยของประธานาธิบดีโธมัส เจฟเฟอร์สัน (ค.ศ. 1801 - 1809)
การปกครองของรัฐบาลเฟเดอรัลลิสต์ที่กดขี่ทำให้พรรคเฟเดอรัลลิสต์มีความนิยมที่เสื่อมลง โธมัส เจฟเฟอร์สัน จากพรรครีพับบลีกัน ได้รับเลือกให้เป็นประธานาธิบดีคนที่สามและสาบานตนเข้าดำรงตำแหน่งในค.ศ. 1801 ประธานาธิบดีเจฟเฟอร์สันได้ชื่อว่าเป็นผู้ส่งเสริมแนวคิดเกี่ยวกับสิทธิเสรีภาพอย่างมาก ตามหลักประชาธิปไตยแบบเจฟเฟอร์สัน (Jeffersonian Democracy) มีแนวความคิดในการตีความรัฐธรรมนูญแบบเคร่งครัดตามตัวอักษร มีนโยบายกระจายอำนาจสู่รัฐบาลของแต่ละรัฐ และส่งเสริมการเกษตรหลีกเลี่ยงลัทธิพาณิชยนิยม (Mercantilism) และการปฏิวัติอุตสาหกรรมในยุโรป ในปีเดียวกันประธานาธิบดีเจฟเฟอร์สันส่งนักการทูตเจมส์ มอนโร (James Monroe) ไปยังกรุงปารีสเพื่อเจรจาของซื้อนครนิวออร์ลีนส์จากฝรั่งเศส ซึ่งตรงกับสมัยของพระจักรพรรดินโปเลียนที่ 1 จักรพรรดินโปเลียนได้เสนอที่จะขายอาณานิคมลุยเซียนา (Louisiana) ทั้งหมด อันเป็นผืนแผ่นดินรกร้างกว้างใหญ่ประกอบด้วยชาวฝรั่งเศส ชาวสเปน และชาวอเมริกันพื้นเมือง เจฟเฟอร์สันเห็นว่าชาวอเมริกันควรจะมีที่ดินอย่างเพียงพอในการประกอบอาชีพเกษตรกรรม จึงตัดสินใจที่จะซื้ออาณานิคมลุยเซียนาจากฝรั่งเศสในค.ศ. 1803 ราคาสิบห้าล้านดอลลาร์ (เทียบเท่าจำนวนเงิน 230 ล้านดอลลาร์ในปัจจุบัน) เรียกว่า การซื้อลุยเซียนา (Louisiana Purchase) ทำให้อาณาเขตของประเทศสหรัฐเพิ่มขึ้นเป็นสองเท่า ซึ่งเป็นที่วิพากษ์วิจารณ์ของฝ่ายเฟอเดอรัลลิสต์อย่างมาก ว่าเป็นการผลาญเงินโดยไม่จำเป็น เจฟเฟอร์สันส่งนายเมอรีเวเทอร์ ลูอิส (Meriwether Lewis) และวิลเลียม คลาร์ก (William Clark) ไปทำการสำรวจดินแดนลุยเซียนาอันกว้างใหญ่ไพศาล ในการสำรวจของลูอิสและคลาร์ก (Lewis and Clark Expedition)
แต่เกษตรกรรมในความหมายนี้ คนผิวขาวมิได้ลงแรงในการประกอบเกษตรกรรมเองแต่อย่างใด แต่ใช้ทาสชาวแอฟริกันให้เป็นผู้ำทำการเพาะปลูก ภายใต้การกำกับของชาวอเมริกันผิวขาวในฐานะเจ้าของที่ดิน รัฐบาลสมัยประธานาธิบดีเจฟเฟอร์สันแม้จะให้ความสำคัญแก่สิทธิเสรีภาพ แต่ก็จำต้องปล่อยให้ระบอบทาสคงอยู่เพื่อให้ระบบเศรษฐกิจเกษตรกรรมสามารถดำรงอยู่ได้
ในยุโรปกำลังเกิดสงครามนโปเลียน ประธานาธิบดีเจฟเฟอร์สันพยายามที่จะธำรงความเป็นกลางของสหรัฐเอาไว้ แม้กระนั้นเรือสินค้าของสหรัฐก็ยังคงถูกตรวจค้นและปล้มสะดมโดยทางการบริเทน และกองทัพเรือบริเทนยังลักพาตัวชายชาวอเมริกาจำนวนมากเพื่อนำไปเข้าร่วมกองทัพเรือในการสู้รบกับฝรั่งเศส เรียกว่า Impressment ในปีค.ศ. 1807สภาองคมนตรีของบริเทนออกคำสั่งให้ทัพเรือบริเทนนำกำลังเข้าปิดล้อมมิให้สหรัฐสามารถทำการค้าขายกับฝรั่งเศสได้ เจฟเฟอร์สันจึงตอบโต้ออกกฎหมายคว่ำบาตรทางการค้า (Embargo Act) ในปีเดียวกัน ห้ามมิให้ชาวอเมริกาทำการค้าขายกับประเทศใดๆในยุโรปและอาณานิคมของประเทศเหล่านั้น นโยบายนี้ทำให้เศรษฐกิจของสหรัฐตกต่ำลงในขณะที่อังกฤษและฝรั่งเศสไม่ได้รับผลเสียใดๆจากนโยบายนี้ และกฎหมายคว่ำบาตรยังทำให้ประชาชนเสื่อมความนิยมในตัวประธานาธิบดีเจฟเฟอร์สันและพรรครีพับบลีกันอีกด้วย จนกระทั่งกฎหมายนี้ถูกยกเลิกไปในค.ศ. 1810
ในค.ศ. 1803 รัฐบาลสหรัฐได้ผนวกเอาดินแดนตะวันตกเฉียงเหนือ (Northwest Territory) บริเวณลุ่มแม่น้ำโอไฮโอ (Ohio River) อันเป็นดินแดนอิสระของชาวอเมริกันพื้นเมือง เข้ามาเป็นดินแดนอินเดียนา (Indiana Territory) และรัฐโอไฮโอ (Ohio) ปกครองโดยรัฐบาลสหรัฐฯ ผู้นำเผ่าอเมริกันพื้นเมืองชื่อว่า เทคัมเซ (Tecumseh) และ เทนสกวาตาวา (Tenskwatawa) นำกำลังเข้าโจมตีเมืองของสหรัฐต่างๆในบริเวณตะวันตกเฉียงเหนืออย่างหนักหน่วง เพื่อต่อต้านการแผ่ขยายอิทธิพลของคนผิวขาว โดยที่การกบฏของชาวพื้นเมืองในครั้งนี้ได้รับการสนับสนุนจากบริเทน
สงครามปีค.ศ. 1812
รัฐมนตรีต่างประเทศเจมส์ แมดิสัน แห่งพรรครีพับบลีกัน ได้รับเลือกเป็นประธานาธิบดีต่อจากเจฟเฟอร์สันในค.ศ. 1810 รัฐบาลสหรัฐเริ่มที่จะทนไม่ได้กับการกระทำของกองทัพเรืองบริเทนต่อเรือของสหรัฐฯ การขัดขวางการค้าของสหรัฐฯ และการที่บริเทนให้การสนับสนุนกบฏของอเมริกันพื้นเมือง นักการเมืองฝ่ายรีพับบลีกัน ซึ่งส่วนใหญ่เป็นผู้แทนจากรัฐทางตอนใต้และจากลุยเซียนา สนับสนุนให้ประกาศสงครามกับบริเทน ในขณะที่นักการเมืองฝ่ายเฟเดอรัลลิสต์จากเขตนิวอิงแลนด์ทางเหนือ ซึ่งได้รับผลประโยชน์จากการค้ากับยุโรปเป็นสำคัญ คัดค้านการทำสงคราม ในที่สุดสภาคองเกรสก็ได้ประกาศสงครามกับบริเทนด้วยเสียงข้างมากในค.ศ 1812 ฝ่ายบริเทนในขณะนั้นมีทัพเรือที่มีชื่อเสียงที่สุดในโลกจากการเอาชนะทัพเรือของนโปเลียนในยุทธการทราฟัลการ์ ฝ่ายอเมริกาและบริเทนปะทะกันในสองช่องทางได้แก่ ทางทะเลโดยที่ทัพเรือบริเทนเข้าโจมตีเมื่องชายฝั่งทะเลต่างๆของอเมริกา และทางบกทัพอเมริกายกเข้าบุกแคนาดาซึ่งในขณะนั้นเป็นอาณานิคมของบริเทน
ในค.ศ. 1811 นายพลวิลเลียม เฮนรี แฮร์ริสัน (William Henry Harrison) บุกเข้าทำลายฐานที่มั่นของอินเดียนแดงได้ในยุทธการทิปเปอแคนู (Battle of Tippecanoe) ทัพอเมริกามีความพยายามในการรุกรานแคนาดาแต่ถูกขัดขวางจากการที่มลรัฐทางตอนเหนือไม่ให้ความร่วมมือ และในปีค.ศ. 1812 เสียเมืองดีทรอยต์ให้แก่บริเทน และทัพอเมริกาพ่ายแพ้แก่ทัพบริเทนในยุทธการควีนสตันไฮทส์ (Battle of Queenston Heights) ในปีเดียวกัน ทางทะเลบริเทนนำทัพเข้ามาปิดล้อมชายฝั่งทั้งหมดของสหรัฐ ทั้งทางฝั่งมหาสุทรแอตแลนติกและฝั่งอ่าวเม็กซิโก ปีต่อมาค.ศ. 1813 ทัพอเมริกาสามารถบุกเข้ายึดและเผาเมืองโตรอนโตของแคนาดาได้ และพลจัตวาโอลิเวอร์ ฮาซาร์ด เพอร์รี่ (Oliver Hazard Perry) นำทัพเรือเมริกาเอาชนะทัพเรือบริเทนในยุทธการทะเลสาบอีรี (Battle of Lake Erie) สามารถขับบริเทนออกจากบริเวณดีทรอยต์ได้ นายพลแฮร์ริสันนำทัพเข้าปราบชาวอินเดียนแดงในยุทธการเธมส์ (Battle of the Thames) สังหารเทคัมเซผู้นำอินเดียนแดงเสียชีวิตในสนามรบ
ในปี 1814 บริเทนสามารถโค่นอำนาจของนโปเลียนได้ในยุโรป จึงหันความสนใจมายังสหรัฐ ทัพเรือบริเทนเข้ายึดเมืองวอชิงตัน ดี.ซี. และเผาทำลายทำเนียบขาว ทางตอนเหนือทัพเรืออเมริกาต้านทานการรุกรานของทัพบริเทนจากมอนทรีออลได้ในยุทธการทะเลสาบชองแปลง (Battle of Lake Champlain) ทั้งฝ่ายเริ่มการเจรจายุติสงครามที่เมืองเกนต์ ประเทศเบลเยี่ยม นำไปสู่สนธิสัญญาเกนต์ (Treaty of Ghent) ในค.ศ. 1814 สิ้นสุดสงครามโดยที่ไม่มีความเปลี่ยนแปลงของดินแดนในครอบครองทั้งสองฝ่าย กลับไปสู่สภาวะเดิมก่อนเกิดสงคราม
แม้ว่าจะเจรจายุติสงครามแล้ว แต่ข่าวการยุติสงครามยังมาไม่ถึงยังสหรัฐ ในค.ศ. 1815 ทัพเรือบริเทนเข้าโจมตีเมืองท่านิวออร์ลีนส์ ทัพอเมริกานำโดยแอนดรูว์ แจ็กสัน (Andrew Jackson) สามารถต้านทานการรุกรานของบริเทนได้ ในยุทธการนิวออร์ลีนส์ (Battle of New Orleans)
วาทะมอนโรและสมัยแห่งความรู้สึกดี
ค.ศ. 1819 รัฐบาลสหรัฐและราชอาณาจักรสเปนทำสนธิสัญญาแอดัมส์-โอนิส (Adams-Onis Treaty) โดยสหรัฐทำการซื้อฟลอริดามาจากสเปน และกำหนดเส้นแบ่งอาณาเขตระหว่างสองประเทศทางตะวันตก โดยสเปนถือครองดินแดนตะวันตกเฉียงใต้ของสหรัฐในปัจจุบัน
การที่สหรัฐสามารถรับมือกับการรุกรานของมหาอำนาจอย่างเช่นสหราชอาณาจักรได้ ทำให้ชาวอเมริกันเกิดความภาคภูมิใจและเกิดเป็นกระแสชาตินิยมขึ้นในที่สุด ผลทางการเมืองของสงครามปีค.ศ. 1812 คือทำให้อำนาจและความนิยมของพรรคเฟเดอรัลลิสต์ อันมีฐานอำนาจอยู่ในเขตนิวอิงแลนด์ทางเหนือนั้น ล่มสลายไปในที่สุดในฐานะเป็นฝ่ายที่คัดค้านสงคราม ทำให้พรรครีพับบลีกันซึ่งมีฐานเสียงอยู่มลรัฐทางใต้เป็นพรรคการเมืองพรรคเดียวที่คงอำนาจ ความภาคภูมิใจในชาติ และเสถียรภาพทางการเมือง ทำให้เกิดสมัยแห่งความรู้สึกดี (Era of Good Feelings)
ในขณะเดียวกันนั้นอาณานิคมต่างๆของยุโรปในทวีปอเมริกา โดยเฉพาะในอเมริกาใต้กำลังทำสงครามเรียกร้องเอกราชจากประเทศแม่ในยุโรป ปีค.ศ. 1823 ประธานาธิบดีเจมส์ มอนโร และรัฐมนตรีต่างประเทศจอห์น ควินซี แอดัมส์ (John Quincy Adams) ประกาศวาทะมอนโร (Monroe Doctrine) ว่า รัฐบาลสหรัฐฯจะไม่ข้องแวะกับกิจการใดๆของชาติยุโรป และชาติต่างๆในยุโรปจะต้องไม่แทรกแซงกิจการใดๆของรัฐเอกราชในทวีปอเมริกา
ระบบทาส
ความขัดแย้งในเรื่องระบอบทาส เกิดขึ้นครั้งแรกในค.ศ. 1819 เมื่อมีการก่อตั้งมลรัฐมิสซูรี (Missouri) ขึ้นมาเป็นมลรัฐใหม่ โดยที่พลเมืองคนขาวในรัฐมิสซูรีส่วนใหญ่มีทาสชาวแอฟริกันไว้ในครอบครอง และประชาชนได้ร่างกฎหมายประจำมลรัฐและยื่นเรื่องขออนุมัติจัดตั้งรัฐใหม่ไปยังสภาคองเกรส แต่ทว่ามีสมาชิกรัฐสภาคนหนึ่งชื่อว่า จอห์น ทัลมาดจ์ (John Tallmadge) จากมลรัฐนิวยอร์ก เสนอให้มีการแก้กฎหมายให้มลรัฐมิสซูรีห้ามการนำทาสเข้ามาในมลรัฐเพิ่มเติม ซึ่งวุฒิสภาสหรัฐฯคัดค้านการแก้ไขนี้ จนในที่สุดรัฐบาลกลางก็อนุญาตให้รัฐมิสซูรีมีทาสได้ในปีค.ศ. 1820 และในปีเดียวกันมีการจัดตั้งมลรัฐแอละแบมาเป็นรัฐมีทาส ทำให้จำนวนรัฐมีทาสและรัฐปลอดทาสเท่ากัน จึงมีการจัดตั้งรัฐเมนขึ้นเป็นรัฐปลอดทาส เพื่อถ่วงเสียงกับฝ่ายรัฐมีทาส และกำหนดว่าห้ามมีระบอบทาสเหนือเส้นขนานที่ 36 องศา 30 ลิปดาเหนือ เรียกว่า เส้นขนานข้อตกลง (Compromise Line) ยกเว้นมลรัฐมิสซูรีซึ่งอยู่เหนือต่อเส้นข้อตกลง เรียกว่า ข้อตกลงมิสซูรี (Missouri Compromise) ปีค.ศ. 1820 ซึ่งเป็นบรรทัดฐานในการจัดตั้งระบอบทาสและเขตปลอดทาสในสหรัฐต่อมาเป็นเวลาสามสิบปี
การเคลื่อนย้ายชาวอเมริกันอินเดียน
ในปี 1830 สภาคองเกรสผ่านกฎหมายการเคลื่อนย้ายชาวอินเดียน (English: Indian Removal Act) ซึ่งให้มีอำนาจประธานาธิบดีในการเจรจาสนธิสัญญาที่จะแลกเปลี่ยนดินแดนของชนเผ่าพื้นเมืองอเมริกันในรัฐทางตะวันออกกับดินแดนทางตะวันตกของแม่น้ำมิสซิสซิปปี้.[4] เป้าหมายหลักคือเพื่อเคลื่อนย้ายชนพื้นเมืองอเมริกัน, รวมทั้ง ห้าอารยะชนเผ่า, จากตะวันออกเฉียงใต้ของอเมริกาซึ่งพวกเขาครอบครองที่ดินที่ผู้ตั้งถิ่นฐานต้องการ. ประธานาธิบดีแจ็คสันแห่งพรรคเดโมแครต (English: Jacksonian Democrats) เรียกร้องให้ใช้กำลังในการเคลื่อนย้ายประชากรพื้นเมืองที่ปฏิเสธที่จะยอมรับ กฎหมายของรัฐไปยังเขตสงวนทางตะวันตก; สมาชิกพรรคการเมือง (English: Whigs) และผู้นำศาสนาต่อต้านการย้ายที่ไร้มนุษยธรรม. มีการเสียชีวิตหลายพันคนที่มีผลมาจากการโยกย้าย, เท่าที่เห็นใน รอยน้ำตาของเชอโรกี (English: Cherokee Trail of Tears)[5] อินเดียนแดงเผ่า Seminole หลายคนในฟลอริดาปฏิเสธที่จะย้ายไปทิศตะวันตก; พวกเขาต่อสู้กับกองทัพมานานหลายปีในสงคราม Seminole
การฟื้นคืนชีพที่ยิ่งใหญ่ครั้งที่สอง
บทความหลัก: Second Great Awakening
การฟื้นคืนชีพที่ยิ่งใหญ่ครั้งที่สองเป็นการเคลื่อนไหวเพื่อฟื้นฟูนิกายโปรเตสแตนต์ที่สร้างผลกระทบทั้งประเทศในช่วงศตวรรษที่ 19 และนำไปสู่การเจริญเติบโตของคริสตจักรอย่างรวดเร็ว. การเคลื่อนไหวเริ่มราวปี ค.ศ. 1790, ได้รับแรงโมเมนตั้มในปี 1800, และ, หลังปี 1820 สมาชิกเพิ่มขึ้นอย่างรวดเร็วในหมู่การชุมนุมของกลุ่มแบบติสท์และเมทอดิสท์, ซึ่งนักเทศน์ของพวกเขาได้นำการเคลื่อนไหว. มันผ่านจุดสูงสุดในยุค 1840s.[6]
มีคนลงทะเบียนเป็นสมาชิกใหม่นับล้านคนในนิกาย evangelic ที่มีอยู่เดิมและนำไปสู่การก่อตัวของนิกายใหม่ ผู้นับถือหลายคนเชื่อว่าการฟื้นคืนชีพจะเป็นการป่าวประกาศถึงยุคพันปีใหม่. การฟื้นคืนชีพที่ยิ่งใหญ่ครั้งที่สองได้กระตุ้นการเคลื่อนไหวเพือการการปฏิรูปหลายอย่าง-รวมทั้งการเลิกทาสและยับยั้งชั่งใจที่ออกแบบมาเพื่อลบความชั่วร้ายของสังคมก่อนการคาดว่าจะเสด็จมาครั้งที่สองของพระเยซูคริสต์.[7]
การเลิกทาส
หลังปี 1840 การเจริญเติบโตของการเคลื่อนไหวเพื่อเลิกทาสให้นิยามใหม่ของตัวมันเองว่าเป็น สงครามต่อสู้กับความบาปของเจ้าของทาส. มันทำการรวบรวมฝ่ายสนับสนุน (โดยเฉพาะอย่างยิ่ง ในหมู่ผู้หญิงเคร่งศาสนาในภาคตะวันออกเฉียงเหนือที่ได้รับผลกระทบจากการการฟื้นคืนชีพที่ยิ่งใหญ่ครั้งที่สอง) วิลเลียม ลอยด์ แกร์ริสัน ได้เผยแพร่หนังสือพิมพ์ต่อต้านทาสหลายเล่มที่มีอิทธิพลมากที่สุด, The Liberator, ในขณะที่ เฟรเดอริค ดักลาส, อดีตทาส, เริ่มเขียนให้กับหนังสือพิมพ์ฉบับนั้นในราวปี 1840 และเริ่มหนังสือพิมพ์นักปลดปล่อยทาสของเขาเอง, North Star ในปี ค.ศ. 1847.[8] นักเคลื่อนไหวต่อต้านระบบทาสที่ยิ่งใหญ่ที่สุด, เช่น อับราฮัม ลิงคอล์น, ปฏิเสธศาสนศาสตร์ของแกร์ริสันและถือได้ว่า การเป็นทาสเป็นความชั่วร้ายทางสังคม, ไม่ใช่บาป.[9][10]
แผ่ขยายไปทางตะวันตก (ค.ศ. 1824 ถึง ค.ศ. 1861)
การเลือกตั้งทั่วไปในปีค.ศ. 1824 เสียงของประชาชนชาวอเมริกันแตกออกระหว่างผู้สมัครจากพรรครีพับบลีกันสี่คน ได้แก่ โฆษกรัฐบาลนายเฮนรี เคลย์ (Henry Clay) จากมลรัฐเคนตักกี้ รัฐมนตรีต่างประเทศจอห์น ควินซี แอดัมส์ จากมลรัฐแมสซาชูเซตต์ รัฐมนตรีการคลัง วิลเลียม ครอว์เฟิร์ด (William Crawfurd) และแอนดรูว์ แจ็กสัน นายพลผู้โด่งดังจากการนำทัพเรือสหรัฐฯเอาชนะทัพเรือบริเทนในยุทธการนิวออร์ลีนส์ ซึ่งได้รับการสนับสนุนจากชาวมลรัฐเทนเนสซีและเพนซิลวาเนีย ไม่มีผู้สมัครคนใดได้รับเสียงข้างมากในคณะผู้เลือกตั้ง (Electoral College) ที่เพียงพอที่จะเข้าดำรงตำแหน่งประธานาธิบดีได้ จึงให้สภาผู้แทนราษฏรเป็นผู้ทำการเลือกประธานาธิบดีเป็นขั้นตอนถัดมา โฆษกรัฐบาลเฮนรี เคลย์ ได้ทำการล็อบบี้ให้ผู้สนับสนุนของตนในสภาผู้แทนราษฏรเลือกนายจอห์น ควินซี แอดัมส์ เป็นประธานาธิบดี โดยมีข้อแลกเปลี่ยนคือตัวนายเฮนรี เคลย์ จะได้รับการแต่งตั้งเป็นรัฐมนตรีการต่างประเทศ เป็นผลให้นายจอห์น ควินซี แอดัมส์ ได้เป็นประธานาธิบดีคนใหม่ของสหรัฐฯ สร้างความไม่พอใจให้แก่นายแอนดรูว์ แจ็กสันเป็นอย่างมาก ผู้ซึ่งได้ประณามข้อตกลงทางการเมืองนี้ว่าเป็น "ข้อแลกเปลี่ยนอันฉ้อฉล" (The Corrupt Bargain)
เหตุการณ์ในครั้งนี้ทำให้เกิดความแตกแยกในพรรครีพับบลีกัน คือนายแอนดรูว์ แจ็กสัน ร่วมกับนายมาร์ติน แวน บิวเรน (Martin van Buren) ได้นำผู้สนับสนุนของตนแยกตัวออกมาจากพรรครีพับบลีกันออกมาตั้งเป็นพรรคการเมืองใหม่ คือ พรรคเดโมแครต (Democratic Party) ในขณะที่สมาชิกที่ยังคงอยู่ในพรรคเดิมนั้นเรียกว่า พรรครีพับบลีกัน (Republican Party) หรือต่อมาเรียกว่าพรรควิก (Whig Party) นำโดยเฮนรี เคลย์ เป็นจุดเริ่มต้นของระบบพรรคการเมืองที่สอง (Second Party System) รัฐบาลของนายแอดัมส์บริหารงานไม่เป็นที่พึงพอใจของประชาชนมากนัก ส่งผลให้แอนดรูว์ แจ็กสัน สามารถชนะการเลือกตั้งในค.ศ. 1828 ขึ้นเป็นประธานาธิบดีของสหรัฐฯได้ในที่สุด
สมัยของประธานาธิบดีแอนดรูว์ แจ็กสัน (ค.ศ. 1828 - 1837)
ประธานาธิบดีแจ็กสันและพรรคเดโมแครตมีแนวความคิดที่แตกต่างจากพรรครีพับบลีกัน เรียกว่า ประชาธิปไตยแบบแจ็กสัน (Jacksonian democracy) คือ การเปิดโอกาสให้ประชาชนคนชั้นล่างคนยากคนจนเข้ามามีส่วนร่วมในการเมืองมากขึ้น โดยการส่งเสริมให้ชายผิวขาวชาวอเมริกันทุกคนมีสิทธิ์เลือกตั้ง (Universal suffrage of all white men) ซึ่งในสมัยก่อนหน้านั้นชายอเมริกันจะต้องมีที่ดินไว้ในครอบครองจำหนวนหนึ่งจึงจะมีสิทธิ์เลือกตั้งได้ (ตามแนวความคิดประชาธิปไตยแบบเจฟเฟอร์สันที่ว่า มนุษย์จะต้องมีที่ดินไว้ทำกินพึ่งพาตนเองได้ จึงจะถือว่ามีอิสรภาพจากตลาดและอุตสาหกรรม) อย่างไรก็ตามสตรีและทาสผิวดำชาวแอฟริกันยังคงไม่ได้รับสิทธิเลือกตั้ง ประธานาธิบดีแจ็กสันพยายามที่จะสร้างฐานความนิยมในชนชั้นล่างและผู้ประกอบอาชีพเกษตรกรรม ซึ่งส่วนใหญ่เป็นชาวมลรัฐทางใต้ และต่อต้านอิทธิพลทางเศรษฐกิจของชนชั้นกลางผู้มีฐานะจากการประกอบอุตสาหกรรมและธุรกิจการเงิน ซึ่งมีฐานที่มั่นอยู่ในมลรัฐทางตอนเหนือ
ประธานาธิบดีแจ็กสันเชื่อในอำนาจของฝ่าบบริหาร ซึ่งถือว่าเป็นตัวแทนของประชาชนทั้งประเทศ ในขณะที่ฝ่ายนิติบัญญัติอันประกอบด้วยสภาคองเกรสนั้นเป็นเพียงตัวแทนของแต่ละเขต ในคณะที่พรรคฝ่ายค้านกล่าวหาแจ็กสันว่าใช้อำนาจบาตรใหญ่จนถึงขั้นจะตั้งตนเป็นกษัตริย์อย่างในยุโรป แจ็กสันพยายามลดทอนอำนาจของรัฐบาลกลางลง แต่ทว่าประธานาธิบดีแจ็กสันได้กระทำในสิ่งที่ตรงข้ามกับแนวความคิดของตนที่ได้ประกาศไป ปีค.ศ. 1828 รัฐบาลกลางได้ออกรัฐบัญญัติภาษีศุลกากร (Tariff Act of 1828) หรือศุลกากรแห่งความเกลียดชัง (Tariff of Abominations) เป็นการเก็บภาษีศุลกากรจากการค้าขายระหว่างมลรัฐ ซึ่งทำให้ราคาของผลิตภัณฑ์จากขนสัตว์เช่นเสื้อผ้า และผลิตภัณฑ์ที่ทำจากเหล็กมีราคาสูงขึ้น ซึ่งประชาชนชาวมลรัฐทางใต้ได้รับผลกระทบมากที่สุดเนื่องจากจะต้องซื้อสินค้าเหล่านี้จากอุตสาหกรรมในมลรัฐทางเหนือ รัฐบาลรัฐเซาท์แคโรไลนาข่มขู่ว่าจะประกาศยกเลิกและไม่ยอมรับกฎหมายฉบับนี้ ต่อมาในปีค.ศ. 1832 รัฐบาลกลางได้ออกรัฐบัญญัติศุลกากรออกมาอีกฉบับหนึ่ง ซึ่งรัฐบาลรัฐเซาท์แคโรไลนาได้ประกาศไม่ยอมรับกฎหมายฉบับนี้ เรียกเหตุการณ์นี้ว่า วิกฤติการการยกเลิกกฎหมาย (Nullification Crisis) เป็นการที่รัฐบาลท้องถิ่นไม่ยอมรับกฎหมายที่มาจากรัฐบาลกลาง ประธานาธิบดีแจ็กสันจึงตอบโต้โดยการออกรัฐบัญญัติว่าจะใช้กำลังทหารเข้าเก็บภาษี
ประธานาธิบดีแจ็กสันมีนโยบายขยายอาณาเขตเพื่อให้ประชาชนมีที่ดินในการประกอบเกษตรกรรมมากขึ้น ประกอบกับความเกลียดชังส่วนตัวของแจ็กสันที่มีต่อชาวอินเดียนแดงพื้นเมือง นำไปสู่นโยบายการขับชาวพื้นเมืองออกจากดินแดนดั้งเดิมของตนเพื่อให้คนขาวนำมาทำการเกษตร ในค.ศ. 1830 รัฐบาลแจ็กสันออกรัฐบัญญัติขับไล่อินเดียนแดง (Indian Removal Act) ให้ชาวอินเดียนแดงทั้งหมดห้าเผ่าในมลรัฐทางตอนใต้ออกจากถิ่นเดิมของตนแล้วไปตั้งรกรากใหม่ที่มลรัฐโอคลาโฮมา ชาวอินเดียนแดงได้ร้องเรียนต่อศาลฎีกาสูงสุดแห่งสหรัฐ ซึ่งศาลฎีกาตัดสินว่ารัฐบาลกลางไม่มีสิทธิอันชอบธรรมในการขับไล่ชาวอินเดียนแดง แม้กระนั้นประธานาธิบดีแจ็กสันก็ไม่สนใจคำตัดสินของศาลฎีกา ยังคงให้มีการขับชาวอินเดียนแดงออกจากพื้นที่ต่อไป จากความกดดันของรัฐบาลกลางและคนขาวชาวอินเดียนแดงทั้งห้าเผ่าออกเดินทางสู่โอกลาโฮมาในช่วงฤดูหนาวปีค.ศ. 1830-1835 ซึ่งชาวอินเดียนแดงส่วนใหญ่เสียชีวิตระหว่างการเดินทางเนื่องด้วยสภาพอากาศอันเลวร้าย เรียกการอพยพของอินเดียนแดงในครั้งนี้ว่า "เส้นทางแห่งน้ำตา" (Trail of Tears)
นโยบายที่สำคัญอีกประการของประธานาธิบดีแจ็กสันคือ การไม่ต่ออายุธนาคารแห่งชาติสหรัฐที่สอง (Second Bank of the United States) ซึ่งจะหมดอายุในค.ศ. 1836 แจ็กสันมองว่าธนาคารกลางมีอำนาจความคุมการเงินของประเทศเป็นการลิดรอนเสรีภาพทางเศรษฐกิจของประชาชน และเป็นสถาบันที่เอื้อประโยชน์แก่นายทุนชนชั้นกลางจำนวนเพียงหยิบมือ ซึ่งเมื่อไม่มีธนาคารกลางเศรษฐกิจของสหรัฐจึงปราศจากสถาบันควบคุมนำไปสู่ความตื่นตระหนกปีค.ศ. 1837 (Panic of 1837) ในสมัยของประธานาธิบดีคนต่อมาคือนายมาร์ติน แวน บิวเรน เศรษฐกิจที่ตกต่ำทำให้พรรคเดโมแครตมีความนิยมที่เสื่อมลงและเปิดโอกาสให้พรรควิกหาเสียงไปในทางที่ว่าประธานาธิบดีแจ็กสันเป็นเหตุของภาวะเศรษฐกิจตกต่ำ ทำให้พรรควิกชนะการเลือกตั้งและได้ขึ้นครองประเทศในที่สุด
การปฏิวัติเท็กซัสและสงครามกับเม็กซิโก
กล่าวถึงประเทศเม็กซิโกซึ่งเคยเป็นอาณานิคมของสเปน ได้ทำสงครามประกาศเอกราชจากสเปนและจัดตั้งเป็นสาธารณรัฐเม็กซิโก (Republic of Mexico) ในปีค.ศ. 1824 โดยมีลักษณะเป็นสมาพันธรัฐ (Federation) โดยแต่ละรัฐมีรัฐบาลเป็นของตนเองขึ้นแก่รัฐบาลกลาง รัฐเท็กซัสเป็นหนึ่งในนั้น โดยทางรัฐบาลรัฐเท็กซัสซึ่งขึ้นแก่เม็กซิโกได้ส่งเสริมเชื้อเชิญให้ชาวแองโกล-อเมริกัน (Anglo-American) หรือชาวอเมริกันทั่วไปจากมลรัฐทางใต้ของสหรัฐเข้ามาตั้งถิ่นฐานในเท็กซัสเพื่อส่งเสริมเศรษฐกิจภายในรัฐ โดยที่ชาวอเมริกันได้นำทาสผิวดำชาวแอฟริกันมาด้วย แต่ทว่าในปีต่อมาค.ศ. 1825 ประธานาธิบดีอันโตนิโอ โลเปซ เดอ ซันตา อันนา (Antonio Lopez de Santa Anna) แห่งเม็กซิโกเปลี่ยนนโยบายให้เม็กซิโกเป็นรัฐเดี่ยวรวมอำนาจไว้ที่ศูนย์กลางยกเลิกรัฐบาลของแต่ละรัฐ สร้างความไม่พอใจแก่ชาวอเมริกันในเท็กซิสที่คุ้นชินกับการปกครองรัฐบาลท้องถิ่นมาแต่เดิม ที่สำคัญเม็กซิโกมีนโยบายเลิกทาส ชาวอเมริกันจึงก่อการกบฏเพื่อแยกตนเองเป็นเอกราชจากเม็กซิโกเรียกว่า การปฏิวัติเท็กซัส (Texas Revolution) ในค.ศ. 1835 มีผู้นำคือนายพลแซม ฮิวสตัน (Sam Houston) ทัพฝ่ายเม็กซิโกเข้าทำลายล้างสังหารฝ่ายเท็กซัสในยุทธการอลาโม (Battle of the Alamo) แต่ฝ่ายเท็กซัสสามารถเอาชนะฝ่ายเม็กซิกันได้ในยุทธการซานฮาซินโต (Battle of San Jacinto) จนนำไปสู่การจัดตั้งสาธารณรัฐเท็กซัส (Republic of Texas) ขึ้นในค.ศ. 1836
แซม ฮิวสตัน เห็นว่าสาธารณรัฐเท็กซัสควรที่จะเข้ารวมกับสหรัฐแต่ทว่าถูกคัดค้านโดยรัฐบาลของประธานาธิบดีแวนบิวเรนด้วยเหตุผลที่ว่าการรับเท็กซัสเข้ามาเป็นสมาชิกใหม่ ซึ่งแน่นอนว่าจะเข้ามาในฐานะรัฐมีทาส จะทำให้สมดุลของจำนวนระหว่างรัฐมีทาสและรัฐปลอดทาสเสียไป และอาจนำสหรัฐเข้าสู่สงครามกับเม็กซิโกได้ ฝ่ายเท็กซัสพยายามที่จะยื่นข้อเสนอที่จะเข้ารวมกับสหรัฐต่อมาอีกหลายครั้ง แต่ถูกละเลยโดยรัฐบาลพรรควิกในสมัยต่อมาเช่นเดิม ประชาชนชาวอเมริกันทางใต้นั้นต้องการที่จะให้เท็กซัสเข้ามาเป็นสมาชิกเพราะเป็นการเปิดโอกาสให้ชาวอเมริกันเข้าไปแสวงหาที่ดินทำกินเพิ่มเติม นายเจมส์ เค. โพล์ก (James K. Polk) แห่งพรรคเดโมแครตได้ใช้จุดนี้ในการหาเสียงโดยประกาศสนับสนุนการรวมเท็กซัสเข้ากับอเมริกา จนกระทั่งนายโพล์กสามารถชนะนายเฮนรีเคลย์แห่งพรรควิกในการเลือกตั้งค.ศ. 1845 ขึ้นเป็นประธานาธิบดีคนต่อมา สภาคองเกรสภายใต้ประธานาธิบดีโพล์กผ่านร่างเห็นชอบให้เท็กซัสเข้ามาเป็นมลรัฐใหม่ของสหรัฐในค.ศ. 1846 โดยเป็นมลรัฐที่มีทาส และให้ดินแดนโอเรกอน (Oregon Territory) อันเป็นดินแดนร่วมระหว่างสหรัฐกับบริเทน เข้ามาเป็นมลรัฐโอเรกอนเป็นรัฐปลอดทาสเพื่อความสมดุล โดยทำสนธิสัญญาโอเรกอน (Oregon Treaty) แบ่งเขตแดนระหว่างสหรัฐกับแคนาดาของบริเทนที่เส้นขนาน 49 องศาเหนือ
แต่ทว่ามลรัฐเท็กซัสนั้นมีเขตแดนทับซ่อนกันกับสาธารณรัฐเม็กซิโก โดยที่ฝ่ายอเมริกานั้นอ้างดินแดนจนถึงแม่น้ำริโอแกรนด์ (Rio Grande) ในขณะที่ฝ่ายเม็กซิโกอ้างดินแดนเข้ามาจนถึงแม่น้ำนิวซ์ (Neuces River) ประธานาธิบดีโพล์กได้ส่งนายพลแซคารี เทย์เลอร์ (Zachary Taylor) เป็นผู้นำทัพอเมริกันเข้าไปในดินแดนพิพาท และส่งนายจอห์น ซี. เฟรมองต์ (John C. Frémont) ไปยังแคลิฟอร์เนียเพื่อปลุกปั่นให้ชาวแคลิฟอร์เนียก่อกบฏต่อต้านรัฐบาลเม็กซิโก ในค.ศ. 1846 ทัพเม็กซิโกได้เข้าโจมตีทัพของอเมริกาในดินแดนข้อพิพาท ทางฝ่ายสภาคองเกรสจึงประกาศสงครามกับเม็กซิโก โดยทัพอเมริกาเข้าบุกยึดดินแดนที่ปัจจุบันคือภาคตะวันตกเฉียงใต้ของสหรัฐซึ่งในขณะนั้นเป็นของเม็กซิโกอย่างรวดเร็ว ในขณะเดียวกันทัพเรือแปซิฟิก (Pacific Squadron) ได้เข้าปิดล้อมเมืองท่าต่างๆของเม็กซิโกในแคลิฟอร์เนีย และนายพลวินฟีลด์ สก็อต (Winfield Scott) ได้ยกทัพลงใต้เข้าบุกยึดเมืองเม็กซิโกซิตี้ อัรเป็นเมืองหลวงของเม็กซิโกได้สำเร็จในค.ศ. 1847 เป็นเหตุให้เม็กซิโกยอมจำนนและทำสนธิสัญญากวาเดอลูป-ฮิดัลโก (Treaty of Guadelupe-Hidalgo) ในค.ศ. 1848 ยอมรับสถานะของมลรัฐเท็กซัส และยอมยกแคลิฟอร์เนียรวมทั้งดินแดนที่เป็นภาคตะวันตกเฉียงใต้ของสหรัฐในปัจจุบันให้แก่สหรัฐ
การตื่นทองแคลิฟอร์เนียและข้อตกลงค.ศ. 1850
ชัยชนะในสงครามกับเม็กซิโกและสนธิสัญญากวาเดอลูป-ฮิดัลโก ทำให้ความใฝ่ฝันของสหรัฐที่จะแผ่ขยายดินแดนจากฝั่งมหาสมุทรแอตแลนติกจรดมหาสมุทรแปซิฟิกเป็นความจริงขึ้นมา ชาวอเมริกันมีความเชื่อในเรื่อง "โชคชะตาเด่นชัด" (Manifest Destiny) ว่าคนผิวขาวมีหน้าที่ภารกิจในการนำความเจริญจากฝั่งตะวันออกไปสู่ฝั่งตะวันตกซึ่งก็คือฝั่งแปซิฟิกนั่นเอง โดยที่ความด้อยอารยธรรมของชนพื้นเมืองอินเดียนแดงจะต้องล่าถอยไป ซึ่งแนวความคิดนี้เป็นแรงผลักดันสำคัญในการแผ่ขยายดินแดนของสหรัฐในสมัยของรัฐบาลพรรคเดโมแครต ประกอบกับประโยชน์ทางเศรษฐกิจซึ่งชาวอเมริกันฝ่ายใต้มีโอกาสที่จะเข้าไปทำกินที่ดินใหม่ๆที่มีมากขึ้นไม่สิ้นสุด ในขณะที่ชาวอเมริกันฝ่ายเหนือและนักการเมืองจากพรรควิกต่างคัดค้านนโยบายนี้เนื่องจากการแผ่ขยายดินแดนหมายถึงการแผ่ขยายของระบอบทาสในการเกษตรกรรม รวมทั้งคัดค้านการทำสงครามใดๆที่นำไปสู่การขยายดินแดน
ปีค.ศ. 1848 มีการค้นพบเหมืองทองบริเวณแคลิฟอร์เนียและเทือกเขาเซียร์ราเนวาดา โดยที่ประธานาธิบดีโพล์กได้ยืนยันการค้นพบทองนี้ต่อสภาคองเกรส ส่งผลให้ในปีต่อมาค.ศ. 1849 ชาวอเมริกันจำนวนมากจากฝั่งตะวันออกต่างพากันหลั่งไหลไปสู่ฝั่งตะวันตกด้วยความหวังว่าจะได้ทองมาไว้ในครอบครอง เรียกว่า การตื่นทองแคลิฟอร์เนีย (California Gold Rush) และเรียกชาวอเมริกันที่อพยพมาในปีนั้นว่า "ชาวสี่สิบเก้า" (Forty-Niners) นอกจากชาวอเมริกันแล้ว ชาวฮิสแปนิก ชาวอินเดียนพื้นเมือง หรือแม้แต่ผู้อพยพจากเอเชียแปซิฟิกได้แก่ชาวจีน ชาวญี่ปุ่น และชาวออสเตรเลีย ต่างเข้ามาแข่งขันในการทำเหมืองแร่ทอง ประชากรในแคลิฟอร์เนียเพิ่มสูงขึ้นอย่างรวดเร็ว เมืองต่างๆได้แก่ ซานฟรานซิสโก ลอสแอนเจลิส ซานดิเอโก กลายเป็นเมืองใหญ่
เมื่อประชาชนชาวแคลิฟอร์เนียยื่นร่างเสนอให้จัดตั้งแคลิฟอร์เนียเป็นมลรัฐ ปัญหาจึงเกิดขึ้น เมื่อชาวแคลิฟอร์เนียต้องการให้รัฐของตนเองเป็นรัฐปลอดทาส แต่เป็นเพราะแคลิฟอร์เนียมีอาณาเขตคาบเกี่ยวเส้นขนานข้อตกลง นักการเมืองพรรคเดโมแครตฝ่ายใต้ต้องการที่จะแบ่งแคลิฟอร์เนียเป็นสองส่วน ส่วนที่อยู่ใต้ต่อเส้นขนานนั้นเป็นรัฐมีทาส ในขณะเดียวกันนั้นมลรัฐเท็กซัสซึ่งเป็นรัฐมีทาสได้อ้างเขตแดนถึงแม่น้ำริโอแกรนด์ ซึ่งทับซ้อนกับดินแดนนิวเม็กซิโก (New Mexico Territory) ซึ่งชาวนิวเม็กซิโกปรารถนาจะเป็นเขตปลอดทาส จึงเกิดการประนีประนอมระหว่างฝ่ายนิยมทาสและฝ่ายที่ต่อต้านระบอบทาส โดยวุฒิสมาชิกสตีเฟน ดักลาส (Stephen Douglas) แห่งพรรคเดโมแครต และวุฒิสมาชิกเฮนรี เคลย์ แห่งพรรควิก ได้สร้างข้อตกลงร่วมกัน โดยให้แคลิฟอร์เนียเป็นรัฐใหม่ปลอดทาสโดยไม่มีการแบ่งแยก รัฐเท็กซัสสละการอ้างเขตแดน แต่นิวเม็กซิโกจะยังไม่มีสถานะเป็นมลรัฐ และได้ออกรัฐบัญญัติทาสหนี (Fugitive Slave Act) ให้ตำรวจสามารถเข้าจับกุมชาวแอฟริกันอเมริกันผิวดำได้ทุกคนที่ถูกกล่าวหาว่าเป็นทาสหลบหนี ข้อตกลงทั้งหลายนี้รวมกันเรียกว่า ข้อตกลงปีค.ศ. 1850 (Compromise of 1850) ซึ่งเป็นการพบกันครึ่งทางระหว่างสองฝ่ายและยับยั้งความรุนแรงไปได้อีกสิบปี
=== สงครามกลางเมือง (ค.ศ. 1861 ถึง ค.ศ. 1865) ===อเมริกามันพวกหัวขวด
การขยายดินแดนตลอดช่วงคริสต์ศตวรรษที่สิบเก้าทำให้สหรัฐมีดินแดนเพิ่มขึ้นอย่างมากสำหรับการประกอบอาชีพเกษตรกรรม ซึ่งทาสชาวแอฟริกันอเมริกันนั้นมีบทบาทอย่างมากในฐานะเป็นแรงงานหลักในการเกษตรภายใต้การควบคุมดูแลของเจ้านายผิวขาว นโยบายของรัฐบาลพรรคเดโมเครตซึ่งกุมอำนาจอยู่ในช่วงเวลานั้นสนับสนุนการกสิกรรมและการขยายดินแดน ซึ่งหมายถึงการสนับสนุนระบอบทาสซึ่งเป็นระบอบสำคัญที่ทำให้เศรษฐกิจของสหรัฐอยู่รอด อย่างไรก็๋ตามในขณะที่มลรัฐทางตอนใต้ของสหรัฐมีเศรษฐกิจหลักเป็นการเกษตรซึ่งต้องใช้แรงงานทาสผิวดำเป็นสำคัญ แต่ในมลรัฐทางตะวันออกเฉียงเหนือนั้นมีเศรษฐกิจหลักเป็นอุตสาหกรรมไม่ต้องพึ่งพิงแรงงานทาส และรัฐเหล่านั้นก็มีนโยบายต่อต้านระบอบทาส จึงการความแตกแยกครั้งใหม่ขึ้นในหมู่คนอเมริกัน นั่นคือการแบ่งแยกระหว่างฝ่ายเหนือซึ่งคัดค้านระบอบทาส และฝ่ายใต้ซึ่งให้การสนับสนุนระบอบทาส
รัฐบาลกลางและประธานาธิบดีหลายสมัยได้พยายามที่จะประสานรอยร้าวระหว่างสองฝ่ายโดยการประนีประนอม ยกตัวอย่างเช่นข้อยุติค.ศ. 1850 ซึ่งให้แคลิฟอร์เนียเป็นรัฐปลอดทาสแต่บังคับให้มลรัฐฝ่ายเหนือส่งตัวทาสที่หลบหนีกลับไปหาเจ้านายเดิมที่ฝ่ายใต้ตามกฎหมายทาสหนี (Fugitive Slave Act) ซึ่งข้อยุติและการประนีประนอมเหล่านี้ไม่สร้างความพึงพอใจแก่ฝ่ายใด ในค.ศ. 1854 รัฐบัญญัติแคสซัส-เนบรัสกา (Kansas-Nebraska Act) จัดสั้งสองมลรัฐใหม่ โดยให้ประชาชนในรัฐนั้นออกเสียงข้างมากเพื่อเลือกว่ารัฐนั้นจะมีทาสหรือไม่ ผลคือชาวอเมริกันจากทั้งฝ่ายเหนือและฝ่ายใต้พากันแห่แหนเข้าไปตั้งรกรากในพื้นที่รัฐใหม่ เพื่อลงมติให้รัฐทั้งสองนั้นมีหรือไม่มีทาสตามแต่ฝ่ายตน จนกระทั่งเกิดการกระทบกระทั่งกันระหว่างสองฝ่ายที่มลรัฐแคนซัสเรียกว่า การหลั่งเลือดที่แคนซัส (Bleeding Kansas)
ในขณะเดียวกันทางฝ่ายเหนือ แนวความคิดการเลิกทาส (Abolitionism) ได้รับความนิยมขึ้นเรื่อยๆ มีวรรณกรรมเกี่ยวกับการเลิกทาสที่เป็นที่รูจักคือ กระท่อมน้อยของลุงทอม (Uncle Tom's Cabin) ในค.ศ. 1857 คดีความระหว่างเดรดสกอตและแซนด์ฟอร์ด (Dread Scott v. Sandford) ศาลฎีกาสูงสุดได้ตัดสินให้นายเดรตสกอตชาวแอฟริกันอเมริกันคงสภาพความเป็นทาสเนื่องจาก "ชาวแอฟริกันอเมริกันไม่จัดเป็นพลเมืองของสหรัฐ จึงไม่มีสิทธิเสรีภาพตามที่ได้ระบุไว้ในรัฐธรรมนูญ" สร้างความไม่พอใจแก่ชาวเหนือเป็นอย่างมาก ในค.ศ. 1854 สมาชิกพรรควิกที่มีแนวคิดเลิกทาสได้รวมตัวกันจัดตั้งพรรครีพับบลิกัน (Republican Party) ขึ้น และส่งตัวแทนคือ อับราฮัม ลินคอล์น (Abraham Lincoln) เข้ารับการเลือกตั้งชิงตำแหน่งประธานาธิบดีในค.ศ. 1860 ซึ่งลินคอล์นได้รับเสียงท้วมท้นจากรัฐทางเหนือและเนื่องจากรัฐทางเหนือมีประชากรมากกว่าลินคอล์นจึงมีคะแนนเสียงชนะคู่แข่งจากพรรคเดโมเครต แม้ว่าลินคอล์นจะไม่มีเสียงข้างมากในมลรัฐทางใต้เลยก็ตาม สร้างความไม่พอใจแต่มลรัฐทางตอนใต้เป็นอย่างยึ่ง รัฐใต้ทั้งเจ็ดได้แก่ เซาท์แคโรไลนา มิสซิสซิปปี ฟลอริดา แอละแบมา จอร์เจีย ลุยเซียนา และเท็กซัส ประกาศแยกตัวออกมาจากสหรัฐในค.ศ. 1861 และจัดตั้งสมาพันธรัฐอเมริกา (Confederate States of America) แม้ว่าประธานาธิบดีลินคอล์นจะประกาศว่าจะไม่ส่งทัพเข้าปราบฝ่ายสมาพันธรัฐฯ แต่ฝ่ายสมาพันธรัฐฯได้รวบรวมกำลังพลและเข้ายึดป้อมปราการต่างๆเพื่อเตรียมตัวรับมือกับทัพฝ่ายเหนือที่อาจรุกรานเข้ามา โดยเข้ายึดป้อมซัมเทอร์ (Fort Sumter) ในค.ศ. 1861 เป็นเหตุให้ลินคอล์นตัดสินใจประกาศสงครามกับสมาพันธรัฐฯและมีคำสั่งให้ทุกรัฐส่งทัพเข้าช่วยเหลือรัฐบาลกลางในการต่อสู้กับสมาพันธรัฐฯ ทำให้รัฐใต้อีกสี่รัฐได้แก่ เวอร์จิเนีย อาร์คันซอ เทนเนสซี และนอร์ทแคโรไลนา ประกาศถอนตัวจากรัฐบาลสหรัฐฯและเข้าร่วมกับสมาพันธรัฐอเมริกา จัดตั้งเมืองริชมอนด์ (Richmond) รัฐเวอร์จิเนียขึ้นเป็นนครหลวงของสมาพันธรัฐฯ โดยมีนายเจฟเฟอร์สัน เดวิส (Jefferson Davis) เป็นประธานาธิบดี
ฝ่ายสหรัฐฯทางเหนือใช้ยุทธวิธีต่างๆเพื่อพิชิตสมาพันธรัฐฝ่ายใต้ได้แก่ นายพลวินฟิลด์ สก็อต ได้นำกองทัพเรือเข้าปิดล้อมเมืองต่างๆทั้งหมดของรัฐทางใต้ เรียกว่า การปิดล้อมของสหรัฐฯ (Union Blockade) ทำให้ฝ่ายใต้ไม่สามารถส่งออกสินค้าเกษตรกรรมไปยังยุโรปอันเป็นรายได้สำคัญของฝ่ายใต้ เศรษฐกิจแบบเกษตรกรรมของฝ่ายใต้จึงถูกทำลายลง ประธานาธิบดีส่งนายพลยูลิสซิส เอส. แกรนท์ (Ulysees S. Grant) และวิลเลียม เทคัมเซ เชอร์แมน (William Tecumseh Sherman) ยกทัพเข้ารุกรานสมาพันธรัฐทางตะวันตกบริเวณลุ่มแม่น้ำมิสซิสซิปปี เข้ายึดเมืองต่างๆได้อย่างรวดเร็ว แต่ในทางตะวันออกนั้นฝ่ายสมาพันธรัฐนำโดยนายพลโรเบิร์ต อี. ลี (Robert E. Lee) สามารถป้องกันเมืองริชมอนด์นครหลวงและเอาชนะทัพฝ่ายเหนือได้ในยุทธการแอนตีแทม (Battle of Antietam) ค.ศ. 1861 ประธานาธิบดีลินคอล์นสรรหาขุนพลจำนวนมากมาเพื่อนำทัพตะวันออกเข้าโจมตียึดเมืองริชมอนด์แต่ล้วนพ่ายแพ้ต่อนายพลลี จนกระทั่งค.ศ. 1863 ในยุทธการเกตตีสเบิร์ก (Battle of Gettysburg) ทัพของฝ่ายเหนือสามารถเอาชนะทัพของนายพลลีฝ่ายใต้ได้ ซึ่งประธานาธิบดีลินคอล์นได้กล่าวสุนทรพจน์เกตตีสเบิร์ก (Gettysburg Address) ไว้ว่า "...การปกครองของประชาชน โดยประชาชน เพื่อประชาชน จะไม่สูญสิ้นไปจากโลกนี้" ("...and that government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the earth.") ในค.ศ. 1864 เมื่อฝั่งตะวันตกเรียบร้อยดีแล้ว ลินคอล์นจึงย้ายนายพลแกรนท์มาบังคับบัญชาทัพฝั่งตะวันออก นายพลแกรนท์และนายพลลี ขุนพลผู้ยิ่งใหญ่ที่สุดของทั้งสองฝ่ายเข้าปะทะกันในยุทธการโอลด์เชิร์ช (Battle of Old Church) ซึ่งนายพลแกรนท์สามารถเอาชนะนายพลลีและทัพฝ่ายใต้ได้ และในปีเดียวกันนั้นายพลเชอร์แมนยกทัพบุกเข้ายึดเมืองแอตแลนตาได้สำเร็จในยุทธการแอตแลนตา ซึ่งเป็นยุทธการที่ทำให้ลินคอล์นได้รับความนิยมเพิ่มขึ้นและได้รับเลือกตั้งเป็นประธานาธิบดีอีกสมัยในปีค.ศ. 1864
นายพลลีประกาศยอมแพ้สงครามในที่สุดในเดือนเมษายน ค.ศ. 1865 ถัดมาจากนั้นอีกห้าวันประธานาธิบดีลินคอล์นถูกลอบสังหารที่วอชิงตัน ดี.ซี. รองประธานาธิบดีแอนดรูว์ จอห์นสันจากพรรคเดโมเครตจึงขึ้นดำรงตำแหน่งประธานาธิบดีแทน ขุนพลฝ่ายใต้คนอื่นๆค่อยๆทยอยประกาศยอมจำนน จนกระทั่งประธานาธิบดีจอห์นสันประกาศยุติสงครามอย่างเป็นทางการในค.ศ. 1866
สมัยแห่งการฟื้นฟู สมัยแห่งความก้าวหน้า และการแผ่ขยายอาณานิคม (ค.ศ. 1865 ถึง ค.ศ. 1918)
สมัยแห่งการฟื้นฟู (ค.ศ. 1865 - ค.ศ. 1877)
หลังสิ้นสุดสงครามกลางเมือง รัฐบาลสหรัฐฯมีความพยายามที่จะฟื้นฟูประเทศจากภาวะสงคราม และนำรัฐทางใต้กลับเข้ามารวมกันเป็นสหรัฐสามัคคีกลมเกลียวกันดังเดิม เรียกว่า สมัยแห่งการฟื้นฟู (Reconstruction Era) นโยบายที่สำคัญของรัฐบาลในสมัยแห่งการฟื้นฟูคือ การฟื้นฟูทางเศรษฐกิจของรัฐฝ่ายใต้ซึ่งได้ถูกทำลายลงอย่างสิ้นเชิงในช่วงสงคราม การให้สิทธิเสรีภาพแก่ชาวแอฟริกันอเมริกันในฐานะพลเมืองอเมริกันที่เท่าเที่ยมกับคนผิวขาว และการกดขี่ปราบปรามพรรคเดโมแครตฝ่ายใต้และผู้ฝักใฝ่สมาพันธรัฐที่เหลืออยู่
ประธานาธิบดีจอห์นสันซึ่งขึ้นดำรงตำแหน่งหลังจากการลอบสังหารประธานาธิบดีลินคอล์นนั้นมาจากพรรคเดโมแครต มีแนวความคิดที่เป็นกลางนั่นคือ รัฐต่างๆทางใต้นั้นไม่มีสิทธิ์ที่จะแยกตัวออกไปจัดตั้งสมาพันธรัฐฯ ดังนั้นสมาพันธรัฐฯจึงเป็นรัฐที่ไม่ถูกต้องและไม่ได้รับการรับรองแต่เริ่มแรก รัฐบาลของนายจอห์นสันมีคำสั่งให้รัฐใต้เริ่มจัดตั้งรัฐบาลขึ้นใหม่และกลับเข้าร่วมกับสหรัฐให้เร็วที่สุด แต่ปรากฏว่ารัฐทางใต้ทั้งหลายยังคงระบุกฎหมายที่ลิดรอนสิทธิเสรีภาพของคนผิวดำไว้ในธรรมนูญของรัฐตน เรียกว่า กฎหมายคนผิวดำ (Black Codes) ซึ่งสร้างความไม่พอใจอย่างมากให้แก่บรรดาสมาชิกพรรครีพับบลิกันหัวรุนแรง (Radical Republicans) ซึ่งมีเสียงข้างมากในสภาคองเกรสขณะนั้น ปฏิเสธที่จะให้ผู้แทนจากรัฐใต้กลับเข้าร่วมสภาคองเกรส และในค.ศ. 1866 เมื่อสภาคองเกรสพิจารณาร่างกฎหมายเพื่อมอบสิทธิเสรีภาพให้แก่ชาวแอฟริกันอเมริกันในฐานะพลเมืองอเมริกันทัดเทียมกับคนผิวขาว ประธานาธิบดีจอห์นสันซึ่งไม่เป็นด้วยกับการให้สิทธิพลเมืองแก่คนผิวดำได้ใช้สิทธิของฝ่ายบริหารยับยั้งร่างรัฐบัญญัตินี้ แต่ทว่าสภาคองเกรสที่ประกอบไปด้วยพรรครีพับบลีกันได้ทำการข้าม (override) การยับยั้งของประธานาธิบดีจอห์นสันและผ่านร่างกฎหมายออกมาเป็นบทบัญญัติรัฐธรรมนูณข้อที่ 14 (Fourteenth Amendment) ในค.ศ. 1868 ให้สิทธิเสรีภาพแก่ชาวผิวดำเป็นพลเมืองอเมริกันอย่างเป็นทางการ และมีการบังคับให้รัฐทางใต้ยอมรับบทบัญญัติข้อนี้เข้าไปในธรรมนูญมิฉะนั้นจะไม่รับกลับเข้าร่วมสหรัฐฯ ค.ศ. 1867 สภาคองเกรสออกรัฐบัญญัติฟื้นฟู (Reconstruction Act) โดยแบ่งมลรัฐทางใต้ออกเป็นห้าเขตทหาร (Five Military Districts) โดยให้รัฐบาลส่งกองทัพเข้าประจำพื้นที่ทางใต้เพื่อควบคุมดูแลมิให้เกิดการต่อต้านนโยบายของรัฐบาลหรือความรุนแรงต่อคนผิวดำ และเพื่อกำจัดอำนาจของพรรคเดโมเครตในรัฐทางใต้
การเลือกตั้งในค.ศ. 1869 นายพลยูลิสซิส เอส. แกรนท์ วีรบุรุษสงครามกลางเมืองชนะการเลือกตั้งในนามของพรรครีพับบลิกันและเป็นตัวแทนของฝ่ายรีพับบลีกันหัวรุนแรง ขึ้นดำรงตำแหน่งเป็นประธานาธิบดี ในปีเดียวกันนั้นประธานาธิบดีแกรนท์ส่งกองทัพไปทำการปราบปราม คูคลักซ์คลาน (Ku Klux Klan) อันเป็นองค์กรก่อการร้ายใต้ดินที่มีเป้าหมายก่อความรุนแรงและสังหารคนผิวดำและนักการเมืองรีพับบลีกัน ในสมัยของประธานาธิบดีแกรนท์ชาวผิวดำอเมริกันมีสิทธิเสรีภาพรุ่งเรืองอย่างมาก มีการส่งเสริมให้ชาวผิวดำเข้ามามีส่วนร่วมในการปกครองและมีคนผิวดำเป็นผู้ว่ามลรัฐและเป็นผู้แทนในสภาคองเกรสเป็นครั้งแรก
อย่างไรก็ตามวิกฤตเศรษฐกิจในค.ศ. 1873 ทำให้รัฐบาลต้องหันความสนใจจากเรื่องคนผิวดำมาที่เรื่องเศรษฐกิจ การเลือกตั้งในค.ศ. 1877 มีผลการเลือกตั้งที่ไม่ชัดเจน จึงเกิดการเจรจาขึ้นระหว่างทั้งสองพรรคการเมืองคือ พรรครีพับบลิกันและพรรคเดโมแครต โดยฝ่ายเดโมแครตยินยอมให้ตัวแทนจากพรรครีพับบลิกันคือ รัทเทอร์ฟอร์ด บี. เฮส์ (Rutherford B. Hayes) ขึ้นดำรงตำแหน่งประธานาธิบดี แต่มีข้อและเปลี่ยนว่ารัฐบาลกลางจะต้องถอนทหารทั้งหมดออกจากรัฐทางใต้ เมื่อปราศจากกำลังความคุมจากฝ่ายรีพับบลีกันทำให้พรรคเดโมแครตกลับขึ้นมามีอำนาจอีกครั้งในทางตอนใต้ เป็นการสิ้นสุดสมัยแห่งการฟื้นฟู รัฐบาลระดับมลรัฐต่างๆทางตอนใต้ได้ออกกฎหมายริดรอนสิทธิของชาวแอฟริกันอีกครั้งหนึ่งเรียกว่า กฎหมายจิมโครว์ (Jim Crow Laws) โดยมีการแบ่งแยก (segregation) คนผิวขาวและคนผิวดำออกจากกันในด้านสาธารณูปโภคสาธารณะและหน้าที่การงาน ภายใต้นโยบาย"แบ่งแยกอย่างเท่าเทียม" ("Seperate but equal") ในทางปฏิบัติคนผิวดำในทางตอนใต้ตกเป็นพลเมืองชั้นสอง มีคุณภาพชีวิตที่ด้อยกว่าคนผิวขาวและถูกกีดกัดจากการปกครอง
สมัยแห่งความก้าวหน้า (ค.ศ. 1877 - ค.ศ. 1933)
สมัยแห่งความก้าวหน้า (Progressive Era) เป็นสมัยที่สหรัฐมีความก้าวหน้าทางเศรษฐกิจและอุตสาหกรรม เกิดการปฏิวัติอุตสาหกรรมขึ้นในสหรัฐ แต่เป็นสมัยที่มีปัญหาทางสังคมสูง สมัยนี้เรียกอีกชื่อหนึ่งว่า สมัยแห่งทองคำเปลว (Gilded Age) ตามวรรณกรรมของมาร์ค ทเวน (Mark Twain) เรื่อง The Gilded Age: A Tale of Today. ซึ่งเปรียบความเจริญก้าวหน้าของสหรัฐในสมัยนั้นว่าเสมือนเป็นทองคำเปลวฉาบหน้าซ่อนเร้นปัญหาความเสื่อมโทรมไว้ภายใน
การปฏิวัติอุตสาหกรรมและสหภาพแรงงาน
ในสมัยแห่งความก้าวหน้าสหรัฐเกิดการปฏิวัติอุตสาหกรรม โดยเฉพาะในภูมิภาคตะวันตกเฉียงเหนือและตะวันตกเกิดอุตสาหกรรมหนักต่างๆขึ้น เช่น อุตสาหกรรมก่อสร้างทางรถไฟ อุตสาหกรมถลุงแร่เหล็ก อุตสาหกรรมเหมือนถ่านหิน ฯลฯ มีการนำเครื่องจักรทันสมัยมาให้ในการผลิตทำให้ปริมาณการผลิตของอุตสาหกรรมของอเมริกาพุ่งสูงขึ้นอย่างรวดเร็ว จนกระทั่งสหรัฐกลายเป็นประเทศอุตสาหกรรมอันดับหนึ่งของโลก เมืองอุตสาหกรรมต่างๆเติบโตขึ้นอย่างรวดเร็วได้แก่ ชิคาโก คลีฟแลนด์ และพิตต์สเบิร์ก โดยมีผู้อพยพจากยุโรปและคนผิวดำจากรัฐใต้เข้ามาเป็นแรงงานหลัก มีการสร้างเส้นทางรถไฟข้ามทวีปสายแรก (First Continental Railroad) เสร็จสิ้นเปิดให้บริการในค.ศ. 1869 จากมิสซูรีจนถึงซานฟรานซิสโก และรัฐบาลยังให้สัมปทานบริษัทอุตสาหกรรมต่างๆเพื่อสร้างทางรถไฟเพื่ออำนวยความสะดวกในการติดต่อขนส่งระหว่างสองฟากทวีปอเมริกา เกิดบริษัทอุตสาหกรรมยักษ์ใหญ่มีมูลค่ามากซึ่งดำรงอยู่มาจนถึงปัจจุบันได้แก่ บริษัทยูเอสสตีล (U.S. Steel) บริษัทเจอเนอรัลอิเล็กทริค (General Electric) ก่อตั้งโดย โธมัส เอดิสัน (Thomas Edison) บริษัทสแตนดาร์ดออยล์ (Standard Oil Company) ก่อตั้งโดยนายจอห์น ดี. ร็อกกี้เฟลเลอร์ (John D. Rockefeller) ทางด้านวิทยาศาสตร์เทคโนโลยีมีความก้าวหน้าเกิดการค้นพบใหม่ๆ เช่น โธมัส เอดิสัน ประดิษฐ์หลอดไฟ ซามูเอล เอฟ. บี. มอร์ส (Samuel Morse) คิดค้นโทรเลข อเล็กซานเดอร์ เกรแฮม เบลล์ (Alexander Graham Bell) ประดิษฐ์โทรศัพท์ พี่น้องไรต์ (Wright Brothers) ประดิษฐ์เครื่องบิน ฯลฯ
อย่างไรก็ตามความรุ่งเรืองของอุตสาหกรรมนำมาซึ่งปัญหาแรงงาน บรรดาแรงงานซึ่งส่วนใหญ่เป็นผู้อพยพต่างเรียกร้องต่อรัฐบาลให้ปรับปรุงสภาพการทำงานและความเป็นอยู่ โดยการเรียกร้องค่าแรงขึ้นต่ำและจำกัดเวลาในการทำงานต่อวันไม่เกิดแปดชั่วโมง ซึ่งแรงงานเหล่านั้นได้รวมตัวกันเป็นสหภาพแรงงาน (Labor unions) ในสมัยแห่งความก้าวหน้าเกิดการประท้วงของแรงงานขึ้นหลายครั้ง ครั้งแรกในค.ศ. 1877 เกิดการประท้วงเส้นทางรถไฟครั้งใหญ่ (Great Railroad Strike) ต่อมาในค.ศ. 1886 เกิดการประท้วงเส้นทางรถไฟตะวันตกเฉียงใต้ครั้งใหญ่ (Great Southwest Railroad Strike) และเหตุการณ์จลาจลเฮย์มาร์เกตสแควร์ (Haymarket Square Riot) ที่เมืองชิคาโก และในค.ศ. 1894 เกิดการประท้วงรถโดยสาร (Pullman Strike) ปัญหาแรงงานยังทำให้เกิดกระแสแนวความคิดสังคมนิยม (Socialism) ขึ้นในสหรัฐ มีการจัดตั้งพรรคสังคมนิยมแห่งอเมริกามีผู้นำคนสำคัญคือ ยูจีน วี. เดบส์ (Eugene V. Debs) ซึ่งรัฐบาลทุกสมัยได้พยายามปราบปรามการประท้วงของแรงงานและพรรคสังคมนิยมอย่างหนัก
การเมืองในสมัยแห่งความก้าวหน้า
ความเปลี่ยนแปลงทางการเมืองตั้งแต่สงครามกลางเมืองจนถึงสมัยแห่งการฟื้นฟู ทำให้เกิดระบบพรรคการเมืองที่สี่ (Fourth Party System) ขึ้น ประกอบด้วยพรรครีพับบลิกันซึ่งมีฐานเสียงส่วนใหญ่อยู่ในรัฐทางเหนือและตะวันตก และพรรคเดโมแครตซึ่งมีฐานเสียงอยู่ในมลรัฐทางใต้ โดยเฉพาะรัฐทางใต้ได้รวมตัวกันต่อต้านรัฐบาลรีพับบลิกันซึ่งครองทั้งตำแหน่งประธานาธิบดีและเสียงข้างมากในสภาคองเกรสเกือบจะตลอดสมัยแห่งความก้าวหน้า เรียกว่า "ใต้เข้มแข็ง" ("Solid South")
สมัยแห่งความก้าวหน้าได้ชื่อว่าเป็นสมัยที่มีความทุจริตฉ้อฉลมากที่สุดในประวัติศาสตร์สหรัฐ บรรดาพรรคการเมืองต่างสร้างคะแนนเสียงของตนผ่านระบบซื้อสิทธิ์ขายเสียง (Clientelism) และได้รับการสนับสนุนจากผู้มีอิทธิพลตามเมืองใหญ่เช่นนิวยอร์ก ชิคาโก ประชาชนชั้นล่างโดยเฉพาะผู้อพยพมักจะขอความช่วยเหลือจากผู้มีอิทธิพลเหล่านั้นในด้านการหางานหรือชีวิตความเป็นอยู่ ซึ่งประชาชนเหล่านั้นจะตอบแทนผู้มีอิทธิพลด้วยการลงคะแนนเลือกตั้งให้แก่พรรคที่ช่วยเหลือตน ระบบเช่นนี้เรียกว่า "เครื่องจักรทางการเมือง" (Political Machine) ซึ่งเป็นฐานเสียงสำคัญของพรรคการเมืองในสมัยแห่งความก้าวหน้า เครื่องจักรทางการเมืองที่เป็นที่รู้จักมากที่สุดคือ แทมมานีฮอล์ (Tammany Hall) ในเมืองนิวยอร์ก ดำเนินการโดยนายวิลเลียม เอ็ม. ทวีด (William M. Tweed) ผู้ทรงอิทธิพลประจำเมือง นอกจากนี้นโยบายต่างๆของรัฐบาลกลางยังเอื้อต่อผลประโยชน์ของผู้มีอิทธิพลในท้องถิ่น
การแผ่ขยายอาณานิคม
ในสมัยแห่งความก้าวหน้ารัฐบาลพรรครีพับบลิกันได้พยายามที่จะแผ่อิทธิพลเข้าไปในลาตินอเมริกาโดยเฉพาะหมู่เกาะแคริบเบียนซึ่งอยู่ทางตอนใต้ของสหรัฐ ซึ่งส่วนใหญ่เป็นอาณานิคมที่ยังคงหลงเหลืออยู่ของจักรวรรดิสเปนซึ่งกำลังเสื่อมอำนาจลง รัฐบาลสหรัฐให้การสนับสนุนคิวบาในการเคลื่อนไหวเพื่อแยกตัวเป็นเอกราชจากสเปน โดยสื่อมวลชนในสหรัฐฯเองนั้นได้รับการสนับสนุนจากรัฐบาลให้ใช้การโฆษณาชวนเชื่อ (yellow journalism) ให้ชาวอเมริกันเห็นการปกครองที่กดขี่ทารุณของสเปนในคิวบาซึ่งเป็นเรื่องราวที่ถูกปั้นแต่งขึ้น เพื่อเรียกเสียงสนับสนุนในการทำสงครามเพื่อขยายอาณาเขต ในค.ศ. 1898 หลังจากที่คิวบาได้จัดตั้งรัฐบาลปกครองตนเอง ประธานาธิบดีวิลเลียม แมกคินลีย์ส่งเรือรบชื่อว่า<i data-parsoid='{"dsr":[57602,57618,2,2]}'>ยูเอสเอส เมน (USS Maine) ไปยังเมืองฮาวานาโดยอ้างว่าเพื่อปกป้องชาวอเมริกันในคิวบา ปรากฏว่าเรือ<i data-parsoid='{"dsr":[57703,57719,2,2]}'>ยูเอสเอส เมน</i>ถูกระเบิดโจมตีและจมลง รัฐบาลสหรัฐเข้าใจว่าเป็นการประทำของสเปนและยื่นคำขาดให้สเปนให้เอกราชแก่คิวบา ทางการสเปนจึงประกาศสงครามกับสหรัฐในที่สุดเกิดเป็น สงครามสเปน-อเมริกา (Spanish-American War)ซึ่งนอกจากคิวบาแล้วทัพเรือสหรัฐฯยังเข้าโจมตีอาณานิคมอื่นๆของสเปนได้แก่ เปอร์โตริโก ไปจนถึงเกาะกวมและฟิลิปปินส์ จอร์จ เดอเวย์ (George Dewey) นำทัพเรือสหรัฐฯเอาชนะทัพเรือสเปนในยุทธการอ่าวมะนิลา (Battle of Manila Bay) ในฟิลิปปินส์
สนธิสัญญาปารีสยุติสงครามสเปน-อเมริกา โดยสเปนสละคิวบาให้เป็นรัฐอารักขา (Protectorate) ของสหรัฐ และสละเปอร์โตริโก เกาะกวม และฟิลิปปินส์ให้เป็นอาณานิคมของสหรัฐฯเช่นกัน แต่ทว่ารัฐบาลของสาธารณรัฐฟิลิปปินส์ (Philippine Republic) ต้องการเอกราชโดยสมบูรณ์ไม่ขึ้นแก่รัฐบาลอเมริกา จึงนำไปสู่สงครามฟิลิปปินส์-อเมริกา (Philippine-American War) ในค.ศ. 1899
ศตวรรษที่ 20
ยุคก้าวหน้า
บทความหลัก: Progressive Era
ความไม่พอใจในส่วนของชนชั้นกลางที่กำลังเพิ่มขึ้นด้วยการทุจริตและความไร้ประสิทธิภาพ ของการเมืองตามปกติ, และความล้มเหลวในการจัดการกับปัญหาของเมืองและอุตสาหกรรมที่สำคัญมากขึ้น, นำไปสู่การเคลื่อนไหวที่ก้าวหน้าแบบไดนามิก ที่เริ่มต้นในยุค 1890s. ในทุกเมืองใหญ่และทุกรัฐ, และในระดับชาติก็เช่นกัน, และในการศึกษา, การแพทย์และอุตสาหกรรม ความก้าวหน้าเรียกหาความทันสมัยและการปฏิรูปสถาบันที่เสื่อม, กำจัดการทุจริตในการเมือง, และการแนะนำของประสิทธิภาพเพิ่อเป็นเกณฑ์สำหรับการเปลี่ยนแปลง. นักการเมืองชั้นนำจาก ทั้งสองฝ่าย, ที่สะดุดตาที่สุดคือ ธีโอดอร์ โรสเวลต์, ชาร์ลส์ อีแวนส์ ฮิวจ์, โรเบิร์ต La Follette ในด้านรีพับลิกันและวิลเลียม เจนนิงส์, ไบรอัน และ วูดโรว์ วิลสัน, ในด้านเดโมแครตเริ่มลงมือกับสาเหตุของการปฏิรูปเพื่อความก้าวหน้า. ผู้หญิงได้เข้ามามีส่วนเกี่ยวข้องโดยเฉพาะอย่างยิ่งใน ความต้องการสำหรับสิทธืในการลงคะแนนเสียงของผู้หญิง, การห้ามเครื่องดื่มแอลกอฮอล์ และโรงเรียนที่ดีกว่า, ผู้นำที่โดดเด่นที่สุดของพวกเขาคือ เจน Addams แห่งชิคาโก. ความก้าวหน้าได้นำกฎหมายต่อต้านการผูกขาด(English: anti-trust laws)มาใช้, และการกำกับดูแลอุตสาหกรรมเช่น การบรรจุเนื้อ, ยา, และทางรถไฟ. การแก้ไขรัฐธรรมนูญใหม่สี่ครั้ง - ครั้งที่สิบหกถึงสิบเก้า - เป็นผลมาจากการเคลื่อนไหวที่ก้าวหน้า, นำภาษีรายได้ของรัฐบาลกลาง, การเลือกตั้งวุฒิสมาชิกโดยตรง, การห้ามเครื่องดื่มแอลกอฮอล์ และสิทธิการออกเสียงของสตรี[11] การเคลื่อนไหวเพื่อก้าวหน้ามีอยู่ตลอดปี 1920s; ระยะเวลาที่มีกิจกรรมมากที่สุด คือ 1900-1918.[12]
จักรวรรดินิยม
ข้อมูลเพิ่มเติม: American imperialism
ประเทศสหรัฐกลายเป็นมหาอำนาจทางเศรษฐกิจและการทหารของโลกหลังจากปี 1890. บทหลักคือสงครามสเปน-สหรัฐ, ซึ่งเริ่มเมื่อสเปนปฏิเสธข้อเรียกร้องของชาวอเมริกันที่จะปฏิรูปนโยบายกดขี่ในคิวบา.[13] "สงครามเล็กๆที่ยอดเยี่ยม", อย่างที่เจ้าหน้าที่คนหนึ่งเรียกมัน, เกี่ยวข้องกับชุดของชัยชนะของอเมริกันอย่างรวดเร็วทางบกและทางในทะเล. ที่ สนธิสัญญาการประชุมสันติภาพปารีส (English: Treaty of Paris peace conference) ประเทศสหรัฐครอบครองฟิลิปปินส์, เปอร์โตริโกและกวม.[14]
คิวบากลายเป็นประเทศอิสระภายใต้การคุ้มครองอย่างใกล้ชิดของอเมริกัน. แม้ว่าสงครามที่ตัวมันเองได้รับความนิยมกันอย่างแพร่หลาย, ในความหมายของสันติภาพได้รับการพิสูจน์ว่าขัดแย้ง. วิลเลียม เจนนิงส์ ไบรอัน นำพรรคเดโมครรตของเขาในการค้ดค้านการควบคุมฟิลิปปินส์, ซึ่งเขาประณามว่าเป็นจักรวรรดินิยม ไม่เหมาะสมกับประชาธิปไตยอเมริกัน.[14] ประธานาธิบดีวิลเลียม แมคคินลีย์ ปกป้องการเข้าครอบครองและภาคภูมิใจที่ประเทศกลับมาสู่ความมั่งคั่ง และรู้สึกถึงชัยชนะในสงคราม. แมคคินลีย์พ่ายแพ้อย่างง่ายดายต่อไบรอันในการแข่งขันอีกครั้งในการเลือกตั้งประธานาธิบดีปีค.ศ. 1900.[15]
หลังจากที่เอาชนะกบฏโดยชาวฟิลิปปินส์ผู้รักชาติ, สหรัฐมีส่วนร่วมในโปรแกรมขนาดใหญ่ที่จะปฏิรูปเศรษฐกิจของฟิลิปปินส์และอัพเกรดสิ่งอำนวยความสะดวกด้านสาธารณสุขอย่างรวดเร็ว.[16] ในปี 1908, อย่างไรก็ตาม, ชาวอเมริกันหมดความสนใจในอาณาจักรและหันความสนใจด้านต่างประเทศของพวกเขาไปยังแคริบเบียน, โดยเฉพาะอย่างยิ่ง การสร้างคลองปานามา. ในปีค.ศ. 1912 เมื่อรัฐแอริโซนากลายเป็นรัฐในแผ่นดินใหญ่รัฐสุดท้าย, ชายแดนอเมริกันมาถึงจุดสิ้นสุด. คลองเปิดในปี ค.ศ. 1914 และเพิ่มการค้ากับประเทศญี่ปุ่นและส่วนที่เหลือของตะวันออกไกล. นวัตกรรมที่สำคัญคือ นโยบายเปิดประตู (English: open door policy) ในที่ซึ่ง อำนาจของจักรพรรดิได้รับการเข้าถึงที่เท่าเทียมกันกับธุรกิจของจีน, ที่ไม่มีคนหนึ่งคนใดของพวกเขาได้รับอนุญาตให้ควบคุมจีน.[17]
สงครามโลกครั้งที่หนึ่ง
บทความหลัก: อเมริกาเข้าสู่สงครามโลกครั้งที่หนึ่ง และ หน้าบ้านของสหรัฐฯในช่วง สงครามโลกครั้งที่หนึ่ง
ขณะที่สงครามโลกครั้งที่หนึ่งโหมกระหน่ำในยุโรปจากปี 1914, ประธานาธิบดี วูดโรว์ วิลสัน เข้าควบคุมเต็มรูปแบบในนโยบายต่างประเทศ, ประกาศความเป็นกลางแต่เตือนเยอรมนีว่า การเริ่มต้นใหม่ของสงครามเรือดำน้ำที่ไม่จำกัดต่อเรืออเมริกันที่กำลังส่งสินค้าไปยังประเทศพันธมิตร จะหมายถึงสงคราม. เยอรมนีตัดสินใจที่จะเสี่ยงและพยายามที่จะชนะโดยการตัด เสบียงไปอังกฤษ; สหรัฐประกาศสงครามในเดือนเมษายน ค.ศ. 1917[18] เงิน, อาหาร, และอาวุธอเมริกันมาถึงได้อย่างรวดเร็ว, แต่กองทัพต้องได้รับการเกณฑ์ทหารและการฝึกอบรม; ในฤดูร้อนปี 1918 ทหารอเมริกันภายใต้ นายพล จอห์น เจ Pershing มาถึงในอัตรา 10,000 ต่อวัน ในขณะที่เยอรมนีไม่สามารถที่จะทดแทนการสูญเสียของตน.[19]
ผลที่ได้เป็นชัยชนะของฝ่ายพันธมิตรในเดือนพฤศจิกายน 1918. ประธานาธิบดีวิลสันเรียกร้อง เยอรมนีให้ขับไล่พวกไกเซอร์และยอมรับเงื่อนไขของเขา, หลักการสิบสี่ข้อ(English: Fourteen Points) วิลสันครอบงำการประชุมสันติภาพปารีสปี 1919 แต่เยอรมนีถูกปฏิบัติอย่างรุนแรงโดยฝ่ายพันธมิตรในสนธิสัญญาแวร์ซาย (1919) เมื่อวิลสันใส่ความหวังทั้งหมด ของเขาลงในสันนิบาตแห่งชาติ (English: League of Nations). วิลสันปฏิเสธที่จะ ประนีประนอมกับวุฒิสภาพรรครีพับลิกันในประเด็นของอำนาจรัฐสภาที่จะประกาศสงคราม, และ วุฒิสภาปฏิเสธสนธิสัญญาและสันนิบาต.[20]
สิทธิสตรีในการออกเสียง
ข้อมูลเพิ่มเติม: สิทธิสตรีในการออกเสียงในสหรัฐ
การเคลื่อนไหวของสิทธิสตรีเริ่มต้นกับการประชุมแห่งชาติของพรรคเสรีภาพของเดือนมิถุนายน 1848. ผู้สมัครชิงตำแหน่งประธานาธิบดี Gerrit สมิธ ถกเถียงสำหรับและจัดตั้งสิทธิสตรีให้เป็นคำขวัญของพรรค. หนึ่งเดือนต่อมา, ญาติของเขา ลิซาเบธ เคดี้ สแตนตัน ร่วมกับ Lucretia Mott และ ผู้หญิงคนอื่น ๆ จัดประชุม เซเนกา ฟอลส์ (English: Seneca Falls Convention) ที่จะแสดง การประกาศของความรู้สึก (English: Declaration of Sentiments) ที่เรียกร้องสิทธิที่เท่าเทียมกันสำหรับผู้หญิง และสิทธิในการออกเสียงลงคะแนน.[21] หลายกิจกรรมเหล่านี้กลายเป็นความตระหนักทางการเมืองในระหว่างการเคลื่อนไหวของนักนิยมลัทธิการล้มเลิก. การรณรงค์สิทธิสตรีในระหว่าง "สตรีคลื่นลูกแรก" นำโดย สแตนตัน ลูซี่ สโตน และ ซูซาน บี แอนโทนี่, ในหมู่ อื่นๆอีกมากมาย. สโตนและ Paulina ไรท์ เดวิส จัดให้มีการประชุมแห่งชาติว่าด้วยเรื่องสิทธิ สตรีที่โดดเด่นและมีอิทธิพลในปี 1850. การเคลื่อนไหวจัดอีกครั้งหลังสงครามกลางเมือง, ได้รับนักรณรงค์ที่มีประสบการณ์, หลายคนเหล่านั้นได้ทำงานให้กับข้อห้ามในสหภาพผู้หญิงคริสเตียน. ในตอนท้ายของศตวรรษที่ 19 ไม่กี่รัฐทางตะวันตกได้อนุญาตให้ผู้หญิงได้รับสิทธิในการออกเสียงเต็ม,[22] แม้ว่าผู้หญิงจะได้ชัยชนะทางกฎหมายอย่างมีนัยสำคัญ, โดยได้รับสิทธิในพื้นที่เช่น อสังหาริมทรัพย์และการดูแลเด็ก.[23]
ราวปี 1912 การเคลื่อนไหวเรียกร้องสิทธิสตรี, ซึ่งได้ซบเซา, เริ่มที่จะตื่นขึนมาใหม่, โดยการเน้นความสำคัญกับการเรียกร้องเพื่อความเท่าเทียมกันและโต้แย้งว่า การทุจริตของการเมืองอเมริกันถูกเรียกร้องให้ทำให้มีความบริสุทธิ์โดยผู้หญิง เพราะผู้ชายไม่สามารถทำงานนั้นได้.[24] การประท้วงกลายเป็นเรื่องธรรมดามากขึ้นเมื่อนักเรียกรองสิทธิสตรี อลิซ พอล นำขบวนพาเหรดผ่านเมืองหลวงและหลายเมืองใหญ่. พอล ได้แยกออกจากสมาคมสิทธิสตรีแห่งชาติอเมริกันขนาดใหญ่ (English: National American Woman Suffrage Association (NAWSA)) ซึ่งสร้างความพอใจให้กับวิธีการระดับกลางมากขึ้นและสนับสนุน พรรคฌดโมแครตและวูดโรว์ วิลสัน, ที่นำโดย แครี แชปแมน Catt และ สร้างพรรคของผู้หญิงแห่งชาติที่เข้มแข็งมากขึ้น. นักเรียกร้องสิทธิสตรีถูกจับในระหว่างการถือป้ายประท้วง "ยามรักษาการณ์เงียบ"(English: Silent Sentinels) ของพวกเขาที่ทำเนียบขาว, ซึ่งเป็นครั้งแรกที่ กลยุทธ์ดังกล่าวถูกนำมาใช้, และได้รับการปฏิบัติเหมือนนักโทษการเมือง.[25]
ข้อโต้แย้งของฝ่ายต่อต้านสิทธิสตรัหัวเก่าที่บอกว่าผู้ชายเท่านั้นที่สามารถต่อสู้ในสงครามได้และดังนั้นผู้ชายเท่านั้นจึงสมควรได้รับสิทธิในการออกเสียง, ได้รับการพิสูจน์แล้วว่าไม่จริงโดย การมีส่วนร่วมอย่างกระตือรือร้นของหญิงอเมริกันนับหมื่นที่แนวหน้าในสงครามโลกครั้งที่หนึ่ง. ทั่วโลก ประเทศที่สำนึกในบุญคุณได้ให้ผู้หญิงมีสิทธิในการออกเสียง. นอกจากนี้ ส่วนใหญ่ของรัฐตะวันตกได้ให้ผู้หญิงมีสิทธิในการออกเสียงเรียบร้อยแล้วในการเลือกตั้งระดับรัฐและระดับชาติ, และผู้แทนจากรัฐเหล่านั้น, รวมทั้งผู้หญิงหมายเลขหนึ่ง Jeannette Rankin จากรัฐมอนแทนา, แสดงให้เห็นว่าสิทธิในการออกเสียงของผู้หญิงเป็นความสำเร็จ. ความต้านทานหลักมาจากภาคใต้, ที่ผู้นำผิวขาวเป็นกังวลเกี่ยวกับภัยคุกคามของการออกเสียงของผู้หญิงผิวดำ. รัฐสภาได้ผ่านการแก้ไขที่สิบเก้าในปี 1919 และผู้หญิงจะลงคะแนนเสียงได้ในปี 1920.[26]
NAWSA กลายเป็นสหพันธ์ของสตรีผู้ใช้สิทธิ์ออกเสียง และ พรรคสตรีแห่งชาติเริ่มล็อบบี้เพื่อความเท่าเทียมกันเต็มรูปแบบและการแก้ไขสิทธิที่เท่าเทียมกัน, ซึ่งจะผ่านสภาคองเกรสในช่วง คลื่นลูกที่สองของการเคลื่อนไหวของสตรีในปี 1922. นักการเมืองตอบสนองต่อการเลือกตั้ง ใหม่ โดยเน้นประเด็นที่มีความสนใจเป็นพิเศษของผู้หญิง โดยเฉพาะอย่างยิ่ง การห้าม, สุขภาพของเด็ก และสันติภาพของโลก.[27][28] การพุ่งขึ้นหลักของการออกเสียงของผู้หญิงมาถึงในปี ค.ศ. 1928, เมื่อเครื่องจักรเมืองใหญ่ตระหนักว่าพวกเขาต้องการการสนับสนุนของผู้หญิงที่จะเลือก อัล สมิธ, คาทอลิคจากมหานครนิวยอร์ก. ในขณะที่ ผู้หญิงโปรเตสแตนต์เคลื่อนไหวเพื่อสนับสนุนการห้ามและออกเสียงให้กับ เฮอร์เบิร์ท ฮูเวอร์ จากพรรครีพับลิกัน.[29]
เสียงคำรามในศตวรรษที่ 20 และ เศรษฐกิจตกต่ำครั้งยิ่งใหญ่
บทความหลัก: ประวัติความเป็นมาของประเทศสหรัฐ (1918-1945)
ข้อมูลเพิ่มเติม: Great Depression และ New Deal
ในปี 1920s สหรัฐได้เพิ่มขึ้นอย่างต่อเนื่องในปริมาณการเจริญเติบโตเพื่อเป็นมหาอำนาจทางเศรษฐกิจและการทหารของโลก วุฒิสภาสหรัฐไม่ได้ให้สัตยาบันในสนธิสัญญาแวร์ซายที่ถูกกำหนดโดยฝ่ายพันธมิตรในการพ่ายแพ้ของอำนาจกลาง โดยสหรัฐเลือกที่จะหาทางทำให้สำเร็จแต่ฝ่ายเดียวแทน.[30] แรงสั่นสะเทือนที่เกิดขึ้นภายหลังการปฏิวัติของรัสเซียเมื่อเดือนตุลาคมส่งผลให้เกิดความกลัวที่แท้จริงในลัทธิคอมมิวนิสต์ของสหรัฐ, ที่นำไปสู่'ความกลัวสีแดง'และการส่งตัวกลับของคนต่างด้าวที่มีพฤติกรรมของการล้มล้างบ่อนทำลาย
ในขณะที่ สิ่งอำนวยความสะดวกด้านสุขภาพของประชาชนเพิ่มขึ้นอย่างรวดเร็วใน'ยุคก้าวหน้า' และโรงพยาบาลและโรงเรียนแพทย์หลายแห่งถูกทำให้ทันสมัยขึ้น[31] ประเทศในปี 1918 สูญเสีย 675,000 ชีวิตไปในการระบาดของไข้หวัดใหญ่สเปน.[32]
ใน ปี 1920 การผลิต, การขาย, การนำเข้าและส่งออกของเครื่องดื่มแอลกอฮอล์ ถูกห้ามโดย the Eighteenth Amendment, Prohibition. ผลก็คือ ในเมืองที่เครื่องดื่มแอลกอฮอล์ที่ผิดกฎหมายได้กลายเป็นธุรกิจขนาดใหญ่, ถูกควบคุมโดยแกงค์ผิดกฎหมายทั้งหลาย กลุ่มที่สองของ Ku Klux Klan เติบโตอย่างรวดเร็วระหว่างปี 1922-1925 หลังจากนั้นก็หดตัวลง. กฎหมายตรวจคนเข้าเมืองได้ถูกผ่านออกมาเพื่อจำกัดจำนวนของคนเข้าเมืองรายใหม่อย่างเคร่งครัด. ปี 1920s ถูกเรียกว่าเป็น 'เสียงคำรามในศตวรรษที่ 20' เนื่องจากความเจริญทางเศรษฐกิจอย่างยิ่งใหญ่ในช่วงเวลานี้. เพลงแจ๊สกลายเป็นที่นิยมในหมู่คนรุ่นใหม่ และนี่ทำให้ ทศวรรษนี้ถูกเรียกว่า ยุคแจ๊ส
ภาวะเศรษฐกิจตกต่ำครั้งยิ่งใหญ่ (1929-1939) และข้อตกลงใหม่ (1933-1936) เป็นช่วงเวลาที่ชี้ขาดใน ประวัติศาสตร์การเมือง, เศรษฐกิจ และสังคมอเมริกัน ที่เปลี่ยนโฉมหน้าประเทศ.[33] [ 122 ]
ในช่วงปี ค.ศ. 1920s ประเทศมีความสุขกับความเจริญรุ่งเรืองที่ขยายกง้างขวาง, แม้จะมี จุดอ่อนในภาคการเกษตร. ฟองสบู่ทางการเงินได้รับการผลักดันจากตลาดหุ้นที่เป่าให้พองออกมาซึ่งต่อมานำไปสู่การพังทลายของตลาดหุ้นในวันที่ 29 ตุลาคม ค.ศ. 1929.[34] เหตุการนี้, พร้อมกับปัจจัยทางเศรษฐกิจอื่นๆ อีกมากมาย, ได้จุดชนวนให้เกิดภาวะเศรษฐกิจตกต่ำทั่วโลกเป็นที่รู้จักกันว่า ภาวะเศรษฐกิจตกต่ำครั้งยิ่งใหญ่. ช่วงเวลานี้ ประเทศสหรัฐประสบภาวะเงินฝืดเมื่อราคาตกลง, การว่างงานเพิ่มสูงขึ้นจาก 3% ในปี 1929 เป็น 25% ในปี 1933, ราคาสินค้าเกษตรลดลงครึ่งหนึ่ง และ ผลผลิตภาคอุตสาหกรรมลดลงหนึ่งในสาม
ใน ปี 1932 ประธานาธิบดีตัวแทนพรรคเดโมแครต แฟรงคลิน ดี โรสเวลต์ สัญญาใน "ข้อตกลงใหม่สำหรับประชาชนอเมริกัน", เป็นการสร้างป้ายความอดทนสำหรับนโยบายในประเทศของเขา. สถานการณ์ทางเศรษฐกิจที่หมดหวัง, พร้อมกับชัยชนะของพรรคเดโมแครตอย่างมากใน การเลือกตั้งปี 1932 เปิดโอกาสให้โรสเวลต์ มีอิทธิพลต่อสภาคองเกรสที่ผิดปกติในช่วง"ร้อยวันแรก" ของการบริหารของเขา. เขาใช้อำนาจของเขาเอาชนะในการผ่านอย่างรวดเร็วของชุดของมาตรการในการสร้างโปรแกรมสวัสดิการและกำกับดูแลระบบการธนาคาร, ตลาดหุ้น, อุตสาหกรรม, และการเกษตร พร้อมกับหลายความพยายามอื่นๆของรัฐบาลที่จะยุติภาวะเศรษฐกิจตกต่ำครั้งยิ่งใหญ่ และการปฏิรูปเศรษฐกิจอเมริกัน. ข้อตกลงใหม่กำกับดูแลจำนวนมากของเศรษฐกิจ, โดยเฉพาะภาคการเงิน. มันได้บรรเทาการว่างงานผ่านโปรแกรมจำนวนมาก เช่นการบริหารความก้าวหน้าของงาน (WPA ) และ (สำหรับคนหนุ่ม) องค์กรอนุรักษ์พลเรือน
Administration (WPA) and (for young men) the Civilian Conservation Corps. โครงการการใช้จ่ายขนาดใหญ่ที่ออกแบบมาเพื่อจัดหางานที่จ่ายเงินสูง และสร้างโครงสร้างพื้นฐานขึ้นใหม่ อยู่ภายใต้ขอบเขตของการบริหารงานโยธาธิการ. โรสเวลต์เลี้ยวซ้ายใน 1935-1936, การสร้างสหภาพแรงงานผ่านพระราชบัญญัติ แว็กเนอร์. สหภาพแรงงานกลายเป็นองค์ประกอบที่มีประสิทธิภาพของการรวมเข้าด้วยกันของข้อตกลงใหม่, ซึ่งชนะการเลือกตั้งอีกสามสมัยสำหรับ โรสเวลต์ ในปี 1936, ปี 1940 และ 1944 โดยการระดมสมาชิกสหภาพ, คนงานระดับกลาง, ผู้รับการบรรเทาทุกข์, เครื่องจักรเมืองใหญ่, ชาติพันธุ์ และ กลุ่มศาสนา (โดยเฉพาะอย่างยิ่ง ชาวคาทอลิกและชาวยิว) และชาวผิวขาวทางใต้, พร้อมกับคนผิวดำทางเหนือ ( ที่พวกเขาสามารถลงคะแนน). บางโปรแกรมถูกยกเลิกในปี 1940s เมื่อพวกอนุรักษนิยมได้อำนาจคืนในสภาคองเกรสผ่านทางแนวร่วมอนุรักษนิยม. ที่มีความสำคัญเป็นพิเศษคือโปรแกรม ประกันสังคมที่เริ่มในปี 1935.[35]
สงครามโลกครั้งที่สอง
ข้อมูลเพิ่มเติม: สงครามโลกครั้งที่สอง, ประวัติศาสตน์ทางทหารของสหรัฐในระหว่างสงครามโลกครั้งที่สอง, และ หน้าบ้านของสหรัฐในระหว่างสงครามโลกครั้งที่สอง
ในช่วงหลายปีที่เกิดภาวะเศรษฐกิจตกต่ำ, สหรัฐยังคงมุ่งเน้นไปที่ความกังวลในประเทศ ในขณะที่ ประชาธิปไตยลดลงทั่วโลกและหลายประเทศตกอยู่ภายใต้การควบคุมของเผด็จการ. จักรวรรดิญี่ปุ่นยืนยันการครอบครองในภูมิภาคเอเชียตะวันออกและในแปซิฟิก. นาซีเยอรมนี และ ฟาสซิสต์อิตาลีใช้กำลังทหารและขู่ว่าจะพิชิตดินแดน, ในขณะที่ อังกฤษและฝรั่งเศส พยายามพะเน้าพะนอเพื่อหลีกเลี่ยงสงครามในยุโรป. สหรัฐได้ออกกฎหมาย 'กฎหมายความเป็นกลาง'(English: Neutrality Acts) เพื่อหาทางหลีกเลี่ยงความขัดแย้งกับต่างประเทศ, อย่างไรก็ตาม นโยบายได้ประสานงากับความรู้สึกต่อต้านนาซีที่เพิ่มขึ้น หลังจากเยอรมันบุกโปแลนด์ในเดือน กันยายน ค.ศ. 1939 ที่เริ่มต้นสงครามโลกครั้งที่สอง. โรสเวลต์ วางตำแหน่งสหรัฐว่าเป็น "คลังแสงของประชาธิปไตย"(English: Arsenal of Democracy) โดยให้คำมั่นในการสนับสนุนทางการเงินและอาวุธเต็มรูปแบบสำหรับพันธมิตร, แต่ไม่ให้กำลังทหาร.[36] ญี่ปุ่นพยายามที่จะลดอำนาจของอเมริกาในมหาสมุทรแปซิฟิก โดยการโจมตี เพิร์ล ฮาร์เบอร์ เมื่อวันที่ 7 ธันวาคม 1941 ซึ่งเป็นการเร่งปฏิกิริยาให้อเมริกันเข้าสู่สงครามและแสวงหาการแก้แค้น.[37]
ความช่วยเหลือหลักของสหรัฐที่ให้กับพันธมิตรในความพยายามทำสงครามประกอบด้วย เงิน, ผลผลิตภาคอุตสาหกรรม, อาหาร, ปิโตรเลียม, นวัตกรรมเทคโนโลยี, และ (โดยเฉพาะอย่างยิ่งระหว่าง 1944-1945) กำลังทหาร. สิ่งที่วอชิงตันโฟกัสอย่างมากคือ การเพิ่มผลผลิตทางเศรษฐกิจของประเทศอย่างสูงสุด. ผลโดยรวมเป็นการเพิ่มขึ้นอย่างมากของ GDP, การส่งออก ในปริมาณมหาศาลของอุปกรณ์ให้กับพันธมิตร และให้กับกองทัพอเมริกันในต่างประเทศ, การสิ้นสุดของการว่างงาน และการเพิ่มขึ้นของการบริโภคโดยพลเรือน ถึง 40% ของจีดีพีไปในสงคราม. สิ่งนี่ทำสำเร็จได้โดยคนงานหลายสิบล้านที่ย้ายจากอาชีพประสิทธิภาพการผลิตต่ำ ไปสู่งานที่มีประสิทธิภาพสูง, การปรับปรุงประสิทธิภาพการผลิตหลายอย่างด้วยเทคโนโลยีและการบริหารจัดการที่ดีขึ้นและ การย้ายเข้ามาเป็นกำลังแรงงานที่แข็งขันของนักเรียน, คนเกษียณ, แม่บ้าน และ คนว่างงานและ การเพิ่มขึ้นของชั่วโมงทำงาน
มันก็เหนื่อย; กิจกรรมยามว่างลดลงอย่างรวดเร็ว. ประชาชนอดทนทำงานพิเศษเพราะความรักชาติ, ค่าจ้างและความเชื่อมั่นว่ามันเป็นเพียง "ช่วงระยะเวลาหนึ่ง" และชีวิตจะกลับมาเป็นปกติ โดยเร็วที่สุดเมื่อชนะสงคราม. สินค้าคงทนส่วนใหญ่หาใช้ไม่ได้ และเนื้อสัตว์, เสื้อผ้า,และ น้ำมัน ถูกปันส่วนอย่างเขัมงวด. ในพื้นที่อุตสาหกรรม ที่อยู่อาศัยเป็นสิ่งหายากเมื่อประชากรเพิ่มเป็นสองเท่าและต้องอาศัยอยู่ในที่กำบังแคบๆ. ราคาและค่าจ้างถูกควบคุม และ ชาวอเมริกันต้องเก็บออมเป็นสัดส่วนที่สูงของรายได้ของพวกเขา ซึ่งนำไปสู่การเจริญเติบโตขึ้นมา ใหม่หลังสงคราม แทนที่จะกลับไปสู่ภาวะตกต่ำ.[38][39]
ฝ่ายพันธมิตร ประกอบด้วยสหรัฐ, สหราชอาณาจักร, สหภาพโซเวียต, จีน, แคนาดา และประเทศอื่นๆ ต่อสู้กับฝ่ายอักษะ ที่มีเยอรมนี, อิตาลี และญี่ปุ่น. ฝ่ายพันธมิตรเห็นเยอรมนี เป็นภัยคุกคามหลักและให้ความสำคัญสูงสุดกับยุโรป. สหรัฐครอบงำสงครามกับญี่ปุ่นและหยุดการขยายตัวของญี่ปุ่นในมหาสมุทรแปซิฟิกในปี 1942. หลังจากการพ่ายแพ้ที่ เพิร์ลฮาเบอร์และในประเทศฟิลิปปินส์แก่ญี่ปุ่นและเสมอกันในการรบที่ทะเลคอรัล (พฤษภาคม ค.ศ. 1942), กองทัพเรืออเมริกันได้สร้างความเสียหายอย่างเด็ดขาดที่มิดเวย์ (มิถุนายน ค.ศ. 1942). กองทัพบกอเมริกันช่วยใน'การรณรงค์แอฟริกาเหนือ' ที่ในที่สุดก็จบด้วยการล่มสลายของรัฐบาล ฟาสซิสต์ของ Mussolini ในปี 1943 เมื่ออิตาลีเปลี่ยนมาเข้ากับฝ่ายพันธมิตร แนวรบด้านหน้าของยุโรปที่สำคัญที่สุดถูกเปิดในวัน D-Day, วันที่ 6 มิถุนายน ค.ศ. 1944 ที่กองกำลังอเมริกันและพันธมิตรบุกฝรั่งเศสที่นาซียึดครองอยู่
.[40]]]
สถานะการณ์ในประเทศ, การขับเคลื่อนของเศรษฐกิจสหรัฐฯได้รับการจัดการโดย 'คณะกรรมการการผลิตระหว่างสงคราม' ของโรสเวลต์ การผลิตที่ขยายตัวอย่างมากในช่วงสงครามนำไปสู่การจ้างงานเต็มรูปแบบ, เช็ดร่องรอยของเศรษฐกิจตกต่ำครั้งใหญ่ออกไป. อันที่จริง การขาดแคลนแรงงานได้สนับสนุนให้อุตสาหกรรมมองหาแหล่งใหม่ของคนงาน, ทำให้เกิดบทบาทใหม่สำหรับผู้หญิงและคนผิวดำ.[41]
อย่างไรก็ตาม ความรู้สึกท่วมท้นยังเป็นแรงบันดาลใจในความรู้สึกต่อต้านญี่ปุ่น, ซึ่งได้รับการ จัดการโดยการย้ายทุกคนที่มีเชื้อสายญี่ปุ่นออกจากเขตสงครามชายฝั่งตะวันตก.[42] การวิจัยและพัฒนาได้เริ่มปฏิบัติการเช่นกัน, ที่เห็นเด่นชัดที่สุดคือในโครงการแมนฮัตตัน, ความพยายามทีเป็นความลับในการใช้ประโยชน์ปฏิกิริยานิวเคลียร์ในการผลิตระเบิดปรมาณูที่มีการทำลายล้างสูง.[43]
พันธมิตรผลักดันเยอรมันออกมาจากฝรั่งเศส แต่ต้องเผชิญกับการตอบโต้ที่ไม่คาดคิดในการรบ ที่ the Battle of the Bulge ในเดือนธันวาคม. ความพยายามของเยอรมันครั้งสุดท้ายได้ล้มเหลว, และ, เมื่อกองทัพพันธมิตรในตะวันออกและตะวันตกได้มาบรรจบกันที่กรุงเบอร์ลิน, นาซีก็รีบพยายามจะฆ่าชาวยิวกลุ่มสุดท้ายที่เหลืออยู่. แนวรบด้านตะวันตกหยุดลงในเวลาอันสั้น, ปล่อยให้กรุงเบอร์ลินอยู่ในมือโซเวียตเมื่อระบอบการปกครองของนาซียอมจำนนอย่างเป็นทางการในเดือนพฤษภาคม ค.ศ. 1945, เป็นการสิ้นสุดสงครามในยุโรป.[44] ทางด้านมหาสมุทรแปซิฟิก, สหรัฐได้นำมาใช้กลยุทธ์การกระโดดข้ามเกาะมาใช้กับโตเกียว, โดยการสร้างสนามบินสำหรับการระดมทิ้งระเบิดในแผ่นดินใหญ่ญี่ปุ่นจากหมู่เกาะมาเรียนา และบรรลุชัยชนะในการต่อสู้ที่ยากลำบากที่เกาะอิโวจิมาและโอกินาวาในปี 1945.[45] เลือดนองที่โอกินาว่า, สหรัฐ เตรียมที่จะบุกเกาะญี่ปุ่นเมื่อ B- 29s ทิ้งระเบิดปรมาณูที่เมืองฮิโรชิมาและนางาซากิของญี่ปุ่น, บังคับให้จักรวรรดิต้องยอมจำนนในเวลาหลายวันและทำให้สิ้นสุดสงครามโลกครั้งที่สอง.[46] สหรัฐยึดครองญี่ปุ่น (และบางส่วนของเยอรมนี), โดยส่ง ดักลาส แมคอาเธอร์ เพื่อปรับโครงสร้างเศรษฐกิจญี่ปุ่นและระบบการเมืองใหม่ตามแนวทางอเมริกัน.[47]
แม้ว่า ประเทศจะสูญเสียทหารมากกว่า 400,000 นาย[48] แผ่นดินใหญ่ที่รุ่งเรืองมิได้ถูกแตะต้องโดยการทำลายล้างของสงครามที่ต่อสู้จนมีผู้เสียชีวิตอย่างมากมายอย่างมากมายในยุโรปและเอเชีย
การมีส่วนร่วมในต่างประเทศหลังสงครามแสดงให้เห็นจุดจบของลัทธิการโดดเดี่ยวที่เด่นชัดของชาวอเมริกัน. ภัยคุกคามที่น่ากลัวของอาวุธนิวเคลียร์เป็นแรงบันดาลใจให้ทั้งพวกมองโลกในแง่ดีและพวกขี้กลัว. อาวุธนิวเคลียร์ไม่เคยถูกนำมาใช้หลังจากปี 1945, เมื่อทั้งสองฝ่ายถอยออกมาจากขอบเหวและ"ความสงบยาว" ได้สร้างคุณสมบัติของหลายปีแห่งสงครามเย็น, ที่เริ่มต้นด้วยลัทธิทรูแมนในวันที่ 22 พฤษภาคม ค.ศ. 1947. อย่างไรก็ตาม ได้เกิดสงครามระดับภูมิภาคในประเทศเกาหลีและเวียดนาม.[49]
สงครามเย็น, วัฒนธรรมสวนทาง และ สิทธิมนุษยชน
บทความหลัก: ประวัติศาสตร์ของประเทศสหรัฐ (1945-1964) และประวัติศาสตร์ของประเทศสหรัฐ (1964-1980)
หลังสงครามโลกครั้งที่สอง ประเทศสหรัฐกลายเป็นหนึ่งในสองมหาอำนาจที่โดดเด่น, โดยมีโซเวียตเป็นอีกประเทศหนึ่ง. วุฒิสภาสหรัฐลงมติอนุมัติการมีส่วนร่วมของสหรัฐในองค็การสหประชาชาติ (UN) ซึ่งแสดงความหมายถึงการหันออกจากลัทธิโดดเดี่ยวแบบดั้งเดิมของสหรัฐ และไปสู่การมีส่วนร่วมระหว่างประเทศเพิ่มมากขึ้น
เป้าหมายหลักของอเมริกันระหว่างช่วงปี 1945-1948 คือการช่วยเหลือยุโรปจากการทำลายล้างของสงครามโลกครั้งที่สอง และเพื่อจำกัดการขยายตัวของลัทธิคอมมิวนิสต์, ที่เป็นตัวแทนโดยสหภาพโซเวียต. ลัทธิทรูแมนปี 1947 จะให้ความช่วยเหลือทางทหารและทางเศรษฐกิจกับกรีซและตุรกีเพื่อรับมือกับภัยคุกคามของการขยายตัวของลัทธิคอมมิวนิสต์ในคาบสมุทรบอลข่าน. ในปี 1948 ประเทศสหรัฐแทนที่โปรแกรมความช่วยเหลือทางการเงินทีละน้อยด้วยแผนการมาร์แชลล์ที่ครอบคลุม, ซึ่งอัดฉีดเงินเข้าสู่ระบบเศรษฐกิจของยุโรปตะวันตกและรื้อถอนอุปสรรคทางการค้า, ในขณะที่ ทำแนวทางการปฏิบัติด้านการบริหารจัดการของธุรกิจและรัฐบาลให้ทันสมัย.[50]
แผนงบประมาณ 13 พันล้าน $ อยู่ในบริบทของ จีดีพี ของสหรัฐที่ $ 258 พันล้านในปี 1948 และอยู่ในส่วนเพิ่มอีก 12 พันล้านดอลลาร์ในการช่วยเหลือของสหรัฐที่จะให้กับยุโรประหว่างช่วงการสิ้นสุดของสงครามจนถึงการเริ่มต้นของแผนการมาร์แชลล์. ประมุขแห่งรัฐของสหภาพโซเวียต, โจเซฟ สตาลิน ป้องกันประเทศบริวารของเขาจากการมีส่วนร่วม, และจากจุดนั้นต่อมา, ยุโรปตะวันออก, ที่มีเศรษฐกิจแบบรวมศูนย์ที่ไม่มีประสิทธิภาพ, ตกต่ำลงไปเรื่อยๆและตาม หลังยุโรปตะวันตกในแง่ของการพัฒนาเศรษฐกิจและความเจริญรุ่งเรือง. ในปี 1949, สหรัฐ, ที่ได้ปฏิเสธนโยบายยาวนานที่จะไม่มีการเป็นพันธมิตรทางทหารในยามสงบ, ได้รวมตัวเพื่อสร้างพันธมิตรในองค์การสนธิสัญญาแอตแลนติกเหนือ (English: North Atlantic Treaty Organization (NATO)) ที่ยังคงมีอยู่ต่อเนื่อง เข้ามาในศตวรรษที่ 21. ในการตอบสนอง โซเวียตได้จัดตั้งสนธิสัญญาวอร์ซอEnglish: Warsaw Pact)ของรัฐคอมมิวนิสต์.[50]
ในเดือนสิงหาคม 1949, โซเวียตทดสอบอาวุธนิวเคลียร์เป็นครั้งแรก, ซึ่งเพิ่มความเสี่ยงของการทำสงคราม. อันที่จริง การคุกคามที่จะเกิดการทำลายล้างซึ่งกันและกันป้องกันมหาอำนาจทั้งสองฝ่ายไม่ให้ทำอะไรที่เกินไปกว่านั้น และส่งผลให้เกิดสงครามตัวแทน โดยเฉพาะอย่างยิ่งในประเทศเกาหลีและเวียดนาม ในที่ซึ่งทั้งสองฝ่ายไม่ได้เผชิญหน้ากันโดยตรง.[51] ภายในสหรัฐ สงครามเย็นได้กระตุ้นให้เกิดความกังวลเกี่ยวกับอิทธิพลของลัทธิคอมมิวนิสต์. การกระโดดที่ไม่คาดคิดของเทคโนโลยีอเมริกันที่เหนือกว่าของโซเวียตในปี ค.ศ. 1957 ที่มี สปุตนิก, ดาวเทียมโลกดวงแรก, เริ่มการแข่งขันในอวกาศ, ที่ชนะโดยชาวอเมริกัน เมื่ออะพอลโล 11 ส่งนักบินอวกาศลงบนดวงจันทร์ในปี ค.ศ. 1969. ความเป็นห่วงเกี่ยวกับจุดอ่อนของการศึกษาอเมริกัน ได้นำไปสู่การสนับสนุนขนาดใหญ่ของรัฐบาลกลางเพื่อการศึกษาและการวิจัยทางวิทยาศาสตร์.[52]
ในหลายทศวรรษหลังสงครามโลกครั้งที่สอง ประเทศสหรัฐกลายเป็นผู้มีอิทธิพลของโลกในด้านเศรษฐกิจ, การเมือง, การทหาร, วัฒนธรรมและกิจกรรมทางเทคโนโลยี. เริ่มต้นใน ปี 1950s, วัฒนธรรมชนชั้นกลางจะหมกมุ่นอยู่กับสินค้าอุปโภคบริโภค. อเมริกันผิวขาวมีจำนวนเกือบ 90% ของประชากรในปี 1950.[53]
ใน ปี 1960 นักการเมืองผู้มีบารมี, จอห์น เอฟ. เคนเนดี ได้รับการเลือกตั้งเป็นประธานาธิบดีโรมันคาทอลิกคนแรกแห่งสหรัฐ. ครอบครัวเคนเนดี้นำชีวิตใหม่และความแข็งแรงมาสู่บรรยากาศของทำเนียบขาว. เวลาของเขาในทำเนียบขาวถูกทำเครื่องหมายด้วยเหตุการณ์ที่น่าทึ่ง เช่น การเร่งความเร็วของบทบาทสหรัฐฯในการแข่งขันในอวกาศ, การยกระดับบทบาทของสหรัฐในสงครามเวียดนาม, วิกฤตการณ์ขีปนาวุธในคิวบา, การบุกอ่าวหมู, การคุมขังมาร์ติน ลูเทอร์ คิง จูเนียร์ ในระหว่างการรณรงค์หาเสียงของเบอร์มิงแฮม และการแต่งตั้งน้องชายของเขา โรเบิร์ต เอฟ. เคนเนดี ต่อคณะรัฐมนตรีให้เป็นอัยการสูงสุด. เคนเนดี้ถูกลอบสังหารในดัลลัสรัฐเท็กซัส เมื่อวันที่ 22 พฤศจิกายน ค.ศ. 1963 ปล่อยให้ประเทศอยู่ในสภาวะช็อคที่ลึกซึ้ง.[54]
สุดยอดของนโยบายเสรีนิยม
จุดสุดยอดของเสรีนิยมมาในกลางปี 1960s กับความสำเร็จของประธานาธิบดี ลินดอน บี จอห์นสัน (1963-1969) ในการได้รับการผ่านกฎหมายของรัฐสภาสำหรับโปรแกรมสังคมที่ยิ่งใหญ่(English: Great Society programs) ของเขา.[55] โปรแกรมนี้รวมถึง สิทธิของมนุษยชน, การสิ้นสุดของการแบ่งแยกเชื้อชาติ ศาสนา หรือวัฒนธรรม, การขยายสวัสดิการ, การช่วยเหลือจากรัฐบาลกลางเพื่อการศึกษาในทุกระดับ, เงินอุดหนุนสำหรับศิลปะและมนุษยศาสตร์, การเคลื่อนไหวด้านสิ่งแวดล้อม และชุดของโปรแกรมที่ออกแบบมาเพื่อลบล้างความยากจน[56][57] ตามที่นักประวัติศาสตร์ที่ผ่านมาได้อธิบายไว้ว่าดังนี้:
ค่อยเป็นค่อยไป, ปัญญาชนเสรีนิยมได้เขียนวิสัยทัศน์ใหม่เพื่อให้บรรลุความยุติธรรมทางเศรษฐกิจและสังคม. ลัทธิเสรีนิยมของต้นปี 1960s ไม่ได้แนะนำเรื่องความรุนแรง, การยอมรับเพียงเล็กน้อยที่จะรื้อฟื้นยุคใหม่รณรงค์ต่อต้านอำนาจทางเศรษฐกิจที่เข้มข้น และ ไม่มีความตั้งใจที่จะเร่งและจัดระดับกิเลสหรือแจกจ่ายอีกครั้งของความมั่งคั่งหรือตั้งโครงสร้างอีกครั้งสำหรับสถาบันที่มีอยู่เดิม, ทั่วโลกมีการต่อต้านคอมมิวนิสต์อย่างแข็งแรง. มันมีจุดมุ่งหมายที่จะปกป้องโลกเสรี, เพื่อส่งเสริมการเติบโตทางเศรษฐกิจที่บ้าน, และเพื่อให้แน่ใจว่าความร่ำรวยที่ส่งผลจะถูกกระจายออกไปอย่างเป็นธรรม. วาระของมัน ที่ได้รับอิทธิพลอย่างมากจาก ทฤษฎีเศรษฐศาสตร์ของ Keynesian ขยายจินตนาการค่าใช้จ่ายสาธารณะขนาดใหญ่ที่จะ เพิ่มความเร็วในการเติบโตทางเศรษฐกิจ, จึงให้ทรัพยากรสาธารณะจ่ายเป็นกองทุนสวัสดิการ, ที่อยู่อาศัย, สุขภาพและโปรแกรมการศึกษาขนาดใหญ่.[58]
จอห์นสันได้รับเลือกด้วยคะแนนเสียงเลือกตั้งอย่างถล่มทลายในปี 1964 ชนะพรรคอนุรักษ์ แบรี โกลด์วอเทอร์, ซึ่งทำลายการควบคุมรัฐสภานานหลายสิบปีของพรรคร่วมอนุรักษนิยม อย่างไรก็ตาม พรรครีพับลิกันกลับมาในปี 1966 และเลือก ริชาร์ด นิกสัน ในปี 1968. นิกสันยังคงโปรแกรมข้อตกลงใหม่และสังคมที่ยิ่งใหญ่ที่เขาได้รับมรดกมาอย่างกว้างขวาง, ปฏิกิริยา อนุรักษนิยม จะมากับการเลือกตั้งของ โรนัลด์ เรแกน ในปี 1980.[59] ในขณะเดียวกัน คนอเมริกันเสร็จสิ้นการโยกย้ายครั้งยิ่งใหญ่จากฟาร์มมาสู่เมืองและมีประสบการณ์ในช่วงเวลาของการขยายตัวทางเศรษฐกิจอย่างยั่งยืน
การเคลื่อนไหวของสิทธิมนุษยชน
บทความหลัก: การเคลื่อนไหวสิทธิมนุษยชนของแอฟริกันอเมริกัน (1955-1968)
เริ่มต้นในช่วงปลายทศวรรษ 1950s, สถาบันชนชาติทั่วประเทศสหรัฐ, โดยเฉพาะอย่างยิ่งในภาคใต้, ถูกท้าทายมากขึ้นโดยการเคลื่อนไหวสิทธิมนุษยชนที่กำลังเติบโต การเคลื่อนไหวของผู้นำแอฟริกันอเมริกัน Rosa Park และ มาร์ติน ลูเธอร์ คิงจูเนียร์ นำไปที่การคว่ำบาตรของรถประจำทางมอนตโกเมอรี English: Montgomery Bus Boycott), ซึ่งเป็นการเปิดตัวการเคลื่อนไหว. เป็นเวลาหลายปี ชาวอเมริกันเชื้อสายแอฟริกัน จะต่อสู้กับความรุนแรงต่อพวกเขา แต่จะประสบความสำเร็จในขั้นตอนที่ยิ่งใหญ่ต่อความเท่าเทียมกันด้วยการตัดสินของศาลฎีกา, รวมทั้ง Brown v. Board of Education และ Loving v. Virginia, the Civil Rights Act of 1964, the Voting Rights Act of 1965, และ the Fair Housing Act of 1968, ซึ่งสิ้นสุด the Jim Crow laws ที่ทำให้เป็นกฎหมายแยกเชื้อชาติระหว่างคนผิวขาวและคนผิวดำ.[60]
มาร์ติน ลูเธอร์คิง จูเนียร์, ผู้ได้รับรางวัลโนเบลสาขาสันติภาพสำหรับความพยายามของเขาเพื่อให้บรรลุความเท่าเทียมกันของเชื้อชาติ, ถูกลอบสังหารในปี 1968. หลังการตายของเขา, คนอื่นๆได้นำการเคลื่อนไหว, ที่สะดุดตาที่สุดคือภรรยาหม้ายของคิง, Coretta Scott King, ผู้ซึ่งเป็นผู้เคลื่อนไหวเช่นเดียวกับสามีของเธอ, ในการคัดค้านสงครามเวียดนามและในการปลดปล่อยสตรี. ในช่วงเก้าเดือนแรกของปี 1967, 128 เมืองอเมริกันต้องลำบากกับการจลาจล 164 ครั้ง.[61] พลังดำโผล่ออกมาในช่วง ปลายปี 1960 และต้นปี 1970. ทศวรรษที่ในที่สุดจะนำมาซึ่งความก้าวหน้าเชิงบวกโดยผ่านการรวมกลุ่ม, โดยเฉพาะอย่างยิ่งในการให้บริการ, กีฬาและความบันเทิงภาครัฐ. ชนพื้นเมืองอเมริกันหันไปหาศาลเพื่อต่อสู้เพื่อสิทธิในที่ดินของพวกเขา. พวกเขาจัดการประท้วงเพื่อเน้นความล้มเหลวของรัฐบาลที่จะให้เกียรติสนธิสัญญา. หนึ่งในกลุ่มที่โวยมากที่สุดของชาวอเมริกันพื้นเมืองเป็นขบวนการอเมริกันอินเดีย (AIM). ในปี 1960 ซีซาร์ ชาเวซ เริ่มจัดรวบรวมคนงานในไร่ชาวเม็กซิกันอเมริกันรายได้ต่ำในรัฐแคลิฟอร์เนีย. เขานำการประท้วงยาวห้าปีโดยนักเก็บองุ่น. จากนั้น ชาเวซจัดตั้งสหภาพคนงานในไร่ที่ประสบความสำเร็จครั้งแรกของประเทศ. หลังจากนั้นมันก็กลายเป็น United Farm Workers of America (UFW)
การเคลื่อนไหวของผู้หญิง
ข้อมูลเพิ่มเติม: สตรีคลื่นลูกที่สอง
จิตสำนึกใหม่ของความไม่เท่าเทียมของผู้หญิงอเมริกันเริ่มกวาดไปทั่วประเทศ, เริ่มต้นด้วย สิ่งพิมพ์ในปี 1963 ที่ขายดีที่สุดของ Betty Friedan, ความขลังของผู้หญิง, ซึ่งอธิบายว่ามีแม่บ้าน มากเท่าไรที่รู้สึกว่าติดกับและไม่ได้รับการเติมเต็ม, เป็นผลให้เป็นการทำร้ายวัฒนธรรมของชาวอเมริกันสำหรับการสร้างความคิดที่ว่า ผู้หญิงเท่านั้นที่สามารถพบการเติมเต็มผ่านบทบาทของพวกเธอในขณะที่เป็นภรรยา, เป็นแม่ และผู้ดูแลบ้าน, และถกเถียงกันว่าผู้หญิงมีความสามารถเพียงแค่เท่ากับผู้ชายทีสามารถททำทุกประเภทของงานได้. ในปี 1966 Friedan และคนอื่น ๆ ที่จัดตั้งองค์การเพื่อสตรีแห่งชาติ หรือ NOW เพื่อเป็นตัวแทนสำหรับผู้หญิงอย่างที่ NAACP ทำสำหรับผู้หญิงแอฟริกันอเมริกัน.[23][62]
การประท้วงเริ่ม, และขบวนการปลดปล่อยผู้หญิงใหม่เพิ่มขึ้นในขนาดและอำนาจ, ได้รับความสนใจของสื่อมาก, และ, ในปี 1968, ได้เข้ามาแทนที่การเคลื่อนไหวสิทธิมนุษยชน สำหรับ การปฏิวัติทางสังคมเป็นหลักของสหรัฐ. ขบวนพาเหรด, แรลลี่, การคว่ำบาตร และ การถือป้ายประท้วงนำประชาชนออกมานับพัน, บางครั้งเป็นล้าน. มีผลสำเร็จในการประท้วงสำหรับผู้หญิง ในการแพทย์, กฎหมาย, และธุรกิจ, ในขณะที่เพียงไม่กี่เรื่องที่ได้รับการเลือกให้ส่งไปยังสำนักงาน. การเคลื่อนไหวถูกแบ่งออกเป็นกลุ่มตามอุดมการณ์ทางการเมืองในช่วงต้น (ที่มี NOW ทางด้านซ้าย, the Women's Equity Action League (WEAL) อยู่ทางขวา, the National Women's Political Caucus (NWPC) อยู่ตรงกลาง, และกลุ่มรุนแรงกว่าที่เกิดจากผู้หญิงอายุน้อย อยู่ด้านซ้ายสุด) การแปรญัตติสิทธิทัดเทียมที่ถูกนำเสนอให้กับรัฐธรรมนูญ, ผ่านสภาคองเกรสในปี 1972, พ่ายแพ้โดยพรรคร่วมอนุรักษนิยมที่ขับเคลื่อนโดย Phyllis Schlafly. พวกเขาแย้งว่า มันลดระดับตำแหน่งของแม่บ้านและทำให้หญิงสาวมีความไวต่อการเกณฑ์ทหาร.[63][64]
อย่างไรก็ตาม กฎหมายของรัฐบาลกลางจำนวนมาก (เช่น ค่าจ้างเท่าเทียม, การจ้างงาน, การศึกษา, โอกาสการจ้างงาน, และ สินเชื่อ, การสิ้นสุดการเลือกปฏิบัติของหญิงตั้งครรภ์ และความต้องการ NASA, สถาบันทหาร และ องค์กรอื่นๆที่จะยอมรับผู้หญิง), กฎหมายของรัฐ (เช่น การสิ้นสุดการละเมิดของคู่สมรส,และ การข่มขืนโดยคู่สมรส), มติศาลฎีกา (เช่น พิพากษาว่า คำสั่งคุ้มครองเท่าเทียมกันของคำแปรญัตติที่สิบสี่ให้นำไปใช้กับผู้หญิง), และองค์กรสิทธิสตรี(English: Equal Rights Advocates หรือ ERA) ของรัฐที่จัดตั้งสถานะที่เท่าเทียมกันของผู้หญิงภายใต้กฎหมาย, และ ประเพณีและจิตสำนึกของสังคมก็เริ่มเปลี่ยนแปลงไป, การยอมรับความเท่าเทียมกันของผู้หญิง. ปัญหาความขัดแย้งของการทำแท้ง, ได้รับการพิจารณาโดยศาลฎีกาว่า เป็นสิทธิขั้นพื้นฐานใน "Roe v. Wade" (1973 ) ยังคงเป็นจุดของการอภิปรายในวันนี้.[65]
วัฒนธรรม การปฏิวัติ และ détente สงครามเย็น
บทความหลัก: ประวัติศาสตร์ของประเทศสหรัฐ (1964-1980)
ท่ามกลางสงครามเย็น, สหรัฐเข้าร่วมสงครามเวียดนาม, ประเทศที่มีการเจริญเติบโตไม่เป็นที่นิยม ได้รับการเลี้ยงดูด้วยการเคลื่อนไหวทางสังคมที่มีอยู่แล้ว, รวมทั้ง ในกลุ่มผู้หญิง, ชนกลุ่มน้อย และ คนหนุ่มสาว. โครงการทางสังคมที่ยิ่งใหญ่ของประธานาธิบดีลินดอน บี จอห์นสัน และคำวินิจฉัยจำนวนมากโดย วอร์เรน คอร์ท ได้รวมเข้ากับความหลากหลายของ การปฏิรูปสังคมในระหว่างทศวรรษที่ 1960s และ 1970s. สตรีนิยมและการเคลื่อนไหวด้านสิ่งแวดล้อมกลายเป็นพลังทางการเมือง, และความคืบหน้าได้ต่อเนื่องไปสู่สิทธิของชาวอเมริกันทุกคน. การปฏิวัติวัฒนธรรมได้กวาดไปทั่วประเทศและหลายประเทศในโลกตะวันตกในช่วงปลายยุคหกสิบและต้นยุคเจ็ดสิบ, แบ่งชาวอเมริกันต่อไปใน "สงครามวัฒนธรรม" แต่ยังนำมาซึ่งมุมมองของสังคม ที่มีอิสรเสรีมากขึ้น.[66]
จอห์นสันถูกสืบทอดตำแหน่งในปี 1969 โดยพรรครีพับลิกัน ริชาร์ด นิกสัน, ผู้ที่พยายามจะ ค่อยๆย้ายสงครามไปยังกองกำลังเวียดนามใต้. เขาเจรจาสนธิสัญญาสันติภาพในปี 1973 ซึ่งรับประกันการปล่อยตัวของนักโทษสงครามและนำไปสู่การถอนตัวของกองกำลังสหรัฐ. สงครามมีค่าใช้จ่ายเป็นชีวิตของทหารอเมริกัน 58,000 นาย. นิกสันทำให้เกิดความไม่ไว้วางใจที่รุนแรงระหว่างสหภาพโซเวียตและจีนเพื่อประโยชน์ของสหรัฐ, บรรลุ détente ( (เดทานทฺ') ผ่อนคลาย; ความสะดวกในความตึงเครียด) กับทั้งสองฝ่าย.[67]
เรื่องอื้อฉาววอเตอร์เกต, ที่เกี่ยวข้องกับการปกปิดของนิกสัน ในการเข้าปฏิบัติการของเขาโดยการพังเข้าไปในสำนักงานใหญ่ของคณะกรรมการประชาธิปไตยแห่งชาติที่สำนักงานอาคารวอเตอร์เกต, ได้ทำลายฐานทางการเมืองของเขา, ส่งผู้ช่วยหลายตนเข้าคุก,และถูกบังคับให้ลาออกในวันที่ 9 สิงหาคม 1974. เขาถูกสืบทอดโดย รองประธานาธิบดีเจอรัลด์ ฟอร์ด. การล่มสลายของไซ่ง่อนเป็นการสิ้นสุดสงครามเวียดนาม และมีผลทำให้ภาคเหนือและภาคใต้ของเวียดนามถูกรวมตัวกัน. ชัยชนะของพรรคคอมมิวนิสต์ในประเทศเพื่อนบ้านกัมพูชาและลาวได้เกิดขึ้นในปีเดียวกัน.[67]
การคว่ำบาตรน้ำมันของโอเปกทำเครื่องหมายการเปลี่ยนแปลงทางเศรษฐกิจในระยะยาวตั้งแต่นั้นมา, เป็นครั้งแรกที่ราคาพลังงานพุ่งสูงขึ้นเหมือนจรวด. และโรงงานอเมริกันต้องเผชิญการแข่งขันอย่างรุนแรง รถยนต์ , เสื้อผ้า , เครื่องใช้ไฟฟ้า และสินค้าอุปโภคบริโภคจากต่างประเทศ. เมื่อสิ้นปี 1970s เศรษฐกิจประสบวิกฤตพลังงาน, การเจริญเติบโตทางเศรษฐกิจช้าลง, การว่างงานสูง และอัตราเงินเฟ้อที่สูงมากประกอบกับอัตราดอกเบี้ยสูง (stagflation ถูกประดิษฐ์ขึ้น). เนื่องจากนักเศรษฐศาสตร์เห็นด้วยกับภูมิปัญญาของการไม่กำกับดูแล, กฎระเบียบหลายอย่างในยุคสัญญาใหม่ได้สิ้นสุดลง, เช่น ในการขนส่ง, การธนาคารและ โทรคมนาคม.[68]
จิมมี่ คาร์เตอร์, สมัครรับเลือกตั้งเหมือนเป็นบางคนที่ไม่ได้เป็นส่วนหนึ่งของการจัดตั้งทางการเมืองวอชิงตัน, ได้รับเลือกตั้งเป็นประธานาธิบดีในปี 1976.[69] ในเวทีโลก, คาร์เตอร์เป็นนายหน้าของข้อตกลงแคมป์เดวิด(English: Camp David Accords) ระหว่างอิสราเอลและอียิปต์. ในปี 1979 นักศึกษาชาวอิหร่านบุกสถานทูตสหรัฐในกรุงเตหะราน และจับชาวอเมริกัน 66 คนเป็นตัวประกัน, ส่งผลให้เกิดวิกฤตการณ์ตัวประกันอิหร่าน. ด้วยวิกฤตตัวประกันและ stagflation อย่างต่อเนื่อง, คาร์เตอร์แพ้การเลือกตั้งในปี 1980 ให้กับพรรครีพับลิกัน โรนัลด์ เรแกน.[70] ในวันที่ 20 มกราคม 1981 หลายนาทีหลังจากที่ระยะเวลาในสำนักงานของคาร์เตอร์สิ้นสุดลง, เชลยตัวประกันสหรัฐที่เหลือในสถานทูตสหรัฐในอิหร่านได้รับการปล่อยตัว, สิ้นสุดวิกฤตตัวประกันนาน 444 วัน.[71]
การปิดฉากของศตวรรตที่ 20
บทความหลัก: ประวัติความเป็นมาของประเทศสหรัฐ (1980-1991) และประวัติศาสตร์ ของประเทศสหรัฐ (1991 ถึงปัจจุบัน )
โรนัลด์ เรแกน ได้สร้างการจัดแนวใหม่ที่สำคัญด้วยการชนะเลือกตั้งในปี 1980 และ 1984 อย่างถล่มทลาย. นโยบายเศรษฐกิจของเรแกน (ถูกขนานนามว่า "Reaganomics") และการดำเนินการตามพระราชบัญญัติการกู้คืนภาษีเศรษฐกิจปี 1981 ได้ลดภาษีรายได้จาก 70% เหลือ 28% ในช่วงระยะเวลาเจ็ดปี.[72] เรแกนทำต่อเนื่องในการลดขนาดการจัดเก็บภาษีของรัฐบาลและการกำกับดูแล.[73] สหรัฐประสบภาวะถดถอยในปี 1982, ตัวชี้วัดเชิงลบกลับด้าน, ด้วยอัตราเงินเฟ้อลดลงจาก 11% เป็น 2%, อัตราการว่างงานลดลงจาก 10.8% ในเดือนธันวาคม 1982 เป็น 7.5 % ในเดือนพฤศจิกายนปี 1984[74] และอัตราการเติบโตทางเศรษฐกิจเพิ่มขึ้นจาก 4.5 % เป็น 7.2 %.[75]
เรแกนสั่งให้มีการขยายกองทัพสหรัฐ, ทำให้เกิดการขาดดุลงบประมาณเพิ่มเติม. เรแกนนำ ระบบป้องกันขีปนาวุธที่ซับซ้อนที่เรียกว่าการริเริ่มยุทธศาสตร์ป้องกัน (English: Strategic Defense Initiative (SDI)) (ฝ่ายตรงข้ามขนานนามว่า "สตาร์วอร์ส") ซึ่ง" ตามทฤษฎี, สหรัฐสามารถยิงสกัดขีปนาวุธด้วยระบบเลเซอร์ในอวกาศ. โซเวียตมีปฏิกิริยาอย่างรุนแรงเพราะพวกเขาคิดว่ามันละเมิดสนธิสัญญาต่อต้านขีปนาวุธปี 1972 และจะทำให้เสียสมดุลของอำนาจโดยทำให้สหรัฐได้เปรียบทางทหารที่สำคัญ. เป็นเวลาหลายปี, ผู้นำโซเวียต Mikhail Gorbachev ถกเถียงกันอย่างฉุนเฉียวเกี่ยวกับ SDI. อย่างไรก็ตาม ในปลายปี 1980s เขาตัดสินใจว่าระบบจะไม่ทำงานและไม่ควรถูกนำมาใช้เพื่อสกัดกั้นข้อเสนอการลดอาวุธกับสหรัฐ.[76] นักประวัติศาสตร์ถกเถียงถึงความยิ่งใหญ่แค่ไหนที่จะส่งผลกระทบต่อภัยคุกคามที่ SDI มีในโซเวียต, มันมากพอหรือไม่ที่จะบังคับให้ Gorbachev เริ่มต้นการปฏิรูปอย่างรุนแรง, หรือเป็นไปได้หรือไม่ที่การเสื่อมสภาพทางเศรษฐกิจของสหภาพโซเวียตอย่างเดียวจะบังคับให้มีการปฏิรูป. มีข้อตกลงว่าโซเวียตได้ตระหนักว่าพวกเขาตามหลังชาวอเมริกันในด้านเทคโนโลยีทางการทหาร, และว่าการที่จะพยายามไล่ให้ทันจะมีราคาแพงมาก, และว่าค่าใช้จ่ายทางทหารได้เป็นภาระหนักมากอยู่แล้วที่จะทำให้เกิดการชะลอตัวของเศรษฐกิจของพวกเขา[77].
การบุกเกรเนดาและการทิ้งระเบิดลิเบียของเรแกน ได้รับความนิยมในสหรัฐ, แม้ว่า การหนุนหลังพวกกบฏ Contras จะติดหล่มอยู่ในความขัดแย้งใน Iran–Contra affair ที่เผยให้เห็น รูปแบบการจัดการของเรแกนที่แย่มาก.[78]
เรแกนได้พบกับผู้นำโซเวียต Mikhail Gorbachev สี่ครั้ง, ผู้ที่ขึ้นสู่อำนาจในปี 1985, และการประชุมการประชุมสุดยอดของพวกเขาได้นำไปสู่การลงนามของ สนธิสัญญากองกำลัง นิวเคลียร์ระดับกลาง. Gorbachev พยายามจะช่วยประหยัดให้พรรตคอมมิวนิสต์ในสหภาพโซเวียตเป็นครั้งแรกโดยการสิ้นสุดการแข่งขันด้านอาวุธที่มีราคาแพงกับอเมริกา,[79] ในขณะนั้นโดยการกำจัดจักรวรรดิยุโรปตะวันออกในปี 1989. สหภาพโซเวียตล่มสลายในวันคริสต์มาสปี 1991, สิ้นสุดยุคสงครามเย็นระหว่างสหรัฐและสหภาพโซเวียต
ประเทศสหรัฐกลายเป็นมหาอำนาจที่เหลือของโลกแต่เพียงผู้เดียว และยังคงที่จะเข้าไปแทรกแซงในกิจการระหว่างประเทศในระหว่างปี 1990s, รวมทั้งสงครามอ่าวกับอิรักในปี 1991. หลังจากการเลือกตั้งของเขาในปี 1992, ประธานาธิบดีบิล คลินตันควบคุมหนึ่งในช่วงเวลาที่ยาวที่สุดของการขยายตัวทางเศรษฐกิจและกำไรเป็นประวัติการณ์ในค่าหลักทรัพย์, ผลข้างเคียงของการปฏิวัติดิจิตอล, และโอกาสทางธุรกิจใหม่ที่สร้างขึ้นโดยอินเทอร์เน็ต. นอกจากนี้เขายังทำงานร่วมกับสภาคองเกรสพรรครีพับลิกันเพื่อผ่านงบประมาณของรัฐบาลกลางที่เป็นครั้งแรกที่สมดุลใน 30 ปี.[80]
ในปี 1998 คลินตันถูกกล่าวโทษโดยสภาผู้แทนราษฎรในข้อหา "อาชญากรรมอย่างสูงและ ความผิดขั้นเบา" สำหรับการโกหกเกี่ยวกับความสัมพันธ์ทางเพศกับพนักงานฝึกงานทำเนียบขาว โมนิกา ลูวินสกี้ แต่หลังจากนั้นถูกตัดสินว่าไม่ผิดโดยวุฒิสภา. ความล้มเหลวของการฟ้องร้องและการชนะของพรรคเดโมแครตในการเลือกตั้งปี 1998 บังคับให้ประธานสภา Newt Gingrich จากพรรครีพับลิกันลาออกจากสภาคองเกรส.[80]
การเลือกตั้งประธานาธิบดีในปี 2000 ระหว่างจอร์จ ดับเบิลยู บุชและ อัลกอร์ เป็นหนึ่งในที่ใกล้ที่สุดในประวัติศาสตร์ของสหรัฐและช่วยหว่านเมล็ดพันธุ์สำหรับการแบ่งขั้วทางการเมืองที่กำลังมาถึง. การลงคะแนนเสียงตัดสินในรัฐฟลอริด้าอยู่ใกล้มากและสร้างความขัดแย้งอย่างมากในการนับคะแนน. ศาลฎีกาสหรัฐตัดสินในคดี Bush v. Gore ให้สิ้นสุดการนับใหม่ด้วยการลงคะแนนเสียง 5-4. นั่นหมายความว่า บุช, ซึ่งขณะนั้นกำลังนำ, ชนะในรัฐฟลอริดาและการเลือกตั้ง.[81]
ศตวรรษที่ 21
บทความหลัก: ประวัติศาสตร์ของประเทศสหรัฐ (1991- ปัจจุบัน )
9/11 และสงครามกับความหวาดกลัว
บทความหลัก: การโจมตี 11 กันยายน, สงครามที่น่ากลัว, และ นิวเคลียร์ 9/11
เมื่อวันที่ 11 กันยายน 2001 ("9/11"), สหรัฐถูกโจมตีดัวยผู้ก่อการร้าย เมื่อ 19 นักจี้เครื่องบินกลุ่มอัล กออิดะห์ เข้ายึดสี่สายการบินและจงใจพุ่งชนตึกแฝดทั้งสองของอาคารเวิลด์เทรดเซ็นเตอร์ และเพนตากอน, ฆ่าคนเกือบ 3,000 คน, ซึ่งส่วนใหญ่เป็นพลเรือน.[82] ในการตอบสนอง ในวันที่ 20 กันยายน ประธานาธิบดีจอร์จ ดับเบิลยู บุช ประกาศ "สงครามกับความหวาดกลัว". เมื่อวันที่ 7 ตุลาคม 2001 ประเทศสหรัฐและนาโตบุกอัฟกานิสถานเพื่อขับไล่ระบอบการปกครองของตอลิบาน, ซึ่งให้ที่หลบภัยในสวรรค์กับอัล กออิดะห์ และผู้นำของเขา อุซามะห์ บินลาดิน.[83]
รัฐบาลกลางได้จัดตั้งความพยายามในประเทศขึ้นใหม่ที่จะป้องกันการโจมตีในอนาคต. กฎหมายรักชาติสหรัฐ(English: USA PATRIOT Act) ที่ขัดแย้งได้เพิ่มอำนาจของรัฐบาลที่จะเฝ้าตรวจสอบการสื่อสารและข้อจำกัดทางกฎหมายที่ถูกถอดออกในการแชร์สารสนเทศระหว่างการบังคับใช้กฎหมายของรัฐบาลกลางและหน่วยสืบราชการลับ. หน่วยงาน ระดับรัฐมนตรีที่เรียกว่า กระทรวงความมั่นคงแห่งมาตุภูมิ ถูกสร้างขึ้นเพื่อการนำและประสานงาน การจัดกิจกรรมต่อต้านการก่อการร้ายของรัฐบาลกลาง.[84] บางส่วนของความพยายามต่อต้านการก่อการร้ายเหล่านี้, โดยเฉพาะอย่างยิ่ง การจัดการของรัฐบาลสหรัฐของผู้ถูกคุมขังที่เรือนจำที่อ่าวกวนตานาโม, นำไปสู่ข้อกล่าวหาไปที่รัฐบาลสหรัฐในเรื่องการละเมิดสิทธิมนุษยชน
ในปี 2003, จาก 19 มีนาคม - 1 พฤษภาคม สหรัฐบุกอิรัก, ซึ่งนำไปสู่การล่มสลายของรัฐบาลอิรักและในที่สุด ก็สามารถจับกุมตัวเผด็จการอิรัก ซัดดัม ฮัสเซน, ซึ่งสหรัฐได้มีความสัมพันธ์ที่ตึงเครียดกับเขาอย่างยาวนาน. สาเหตุของการบุกถูกอ้างโดยรัฐบาลบุช, รวมถึงการแพร่กระจายของประชาธิปไตยและการกำจัดอาวุธที่มีอานุภาพทำลายล้างสูง (English: weapons of mass destruction)[85] (เป็นความต้องการที่สำคัญของสหประชาชาติเช่นกัน, แม้ว่า การตรวจสอบภายหลังพบว่า หลายส่วนของรายงานข่าวกรองไม่ถูกต้อง)[86] และเพื่อการปลดปล่อยของประชาชนชาวอิรัก. แม้จะมีความสำเร็จบางอย่างในช่วงต้นของการบุก, สงครามอิรักที่ต่อเนื่องได้เติมเชื้อเพลิงการประท้วงระหว่างประเทศ และค่อยๆเห็นการสนับสนุนในประเทศลดลงเมื่อคนจำนวนมากเริ่มตั้งคำถามว่า คุ้มหรือไม่กับค่าใช้จ่ายในการโจมตี.[87][88] ในปี 2007 หลังจากหลายปีของการใช้ความรุนแรงจากการจลาจลในอิรัก, ประธานาธิบดีบุชวางกองกำลังมากขึ้นในกลยุทธ์ที่ขนานนามว่า "เพิ่มฉับพลัน"(English: surge) ในขณะที่ยอดผู้เสียชีวิตลดลง, เสถียรภาพทางการเมืองของอิรักยังคงอยู่ในข้อสงสัย.[89]
ในปี 2008, ความไม่เป็นที่นิยมในต้วประธานาธิบดี บุชและสงครามอิรัก, พร้อมกับวิกฤตการณ์ทางการเงินในปี 2008, นำไปสู่การเลือก บารัค โอบามา, เป็นประธานาธิบดีของสหรัฐคนแรกที่เป็นชาวแอฟริกันอเมริกัน.[90] ชัยชนะของโอบามามีผลบางส่วนเนื่องมาจากความขัดแย้งของเขากับนโยบายต่างประเทศที่ไม่เป็นที่นิยมของบุช, โดยเฉพาะที่เกี่ยวกับการจัดการของเขาสำหรับสงครามอิรักและ มักจะให้เครดิตโดยเกจิและนักข่าวทั้งหลายสำหรับการช่วยให้เขาชนะอย่างหวุดหวิดเพื่อเป็นตัวแทนพรรคเดโมแครตในการเสนอชื่อเข้าชิงตำแหน่งประธานาธิบดีเหนือฮิลลารี ร็อดแฮม คลินตัน, ผู้สนับสนุนสงครามในระยะแรก.[91]
หลังจากการเลือกตั้ง, โอบามาดำเนินการต่อเรื่อง the surge อย่างไม่เต็มใจโดยการส่งกองทัพเสริมอีกท 20,000 นาย จนกระทั่งอิรักมีเสถียรภาพ.[92] จากนั้นเขาก็จบปฏิบัติการรบในอิรักลงอย่างเป็นทางการในวันที่ 31 สิงหาคม 2010, แต่ยังคงกำลังไว้ 50,000 นายในอิรักเพื่อช่วยกองกำลังอิรัก, ช่วยปกป้องการถอนกองกำลัง และทำงานต่อต้านการก่อการร้าย. ในวันที่ 15 ธันวาคม 2011, สงครามมีการประกาศว่าสิ้นสุดอย่างเป็นทางการ และกองทหารชุดสุดท้ายออกจากประเทศ.[93] ในเวลาเดียวกัน โอบามาเพิ่มการมีส่วนร่วมของอเมริกันในอัฟกานิสถาน, เริ่มจากกลยุทธ์ surge โดยการเพิ่มกองกำลังอีก 30,000 นาย, ในขณะที่ เสนอให้เริ่มถอนทหารราวๆเดือนธันวาคม 2014. ในส่วนที่เกี่ยวกับอ่าวกวนตานาโม, ประธานาธิบดีโอบามาห้ามไม่ให้มีการทรมาน, แต่โดยทั่วไป ยังคงนโยบายของบุชเกี่ยวกับผู้ถูกควบคุมในกวนตานาโม, ในขณะที่ยังเสนอด้วยว่า ในที่สุดแล้ว คุกจะต้องถูกปิด.[94][95]
ในเดือนพฤษภาคม 2011, หลังจากเกือบทศวรรษที่ซ่อนตัว, ผู้ก่อตั้งและผู้นำของ อัล กออิดะห์ , อุซามะห์ บินลาดิน ก็ถูกฆ่าตายในปากีสถานในการโจมตีที่ดำเนินการโดย กองกำลังพิเศษ ของกองทัพเรือสหรัฐ ทำหน้าที่ภายใต้คำสั่งของประธานาธิบดีโอบามาโดยตรง. ในขณะที่ อัล กออิดะห์ ใกล้ล่มสลายในอัฟกานิสถาน, องค์กรในเครือได้ดำเนินงานต่อเนื่องในเยเมนและพื้นที่ห่างไกลอื่นๆ เมื่อซีไอเอใช้ยานไร้คนขับ(English: drone) ตามล่าและถอดความเป็นผู้นำ ของมันออก.[96][97]
ภาวะถดถอยครั้งใหญ่
บทความหลัก: Great Recession
ในเดือนกันยายน 2008, ประเทศสหรัฐ, และส่วนใหญ่ของยุโรป, เข้าสู่ภาวะถดถอยที่ยาวนานที่สุดหลังสงครามโลกครั้งที่สอง, มักจะถูกเรียกว่า"Great Recession".[98] หลายวิกฤตที่ทับซ้อนกันมีส่วนเกี่ยวข้อง, โดยเฉพาะอย่างยิ่งวิกฤตตลาดที่อยู่อาศัย, วิกฤตสินเชื่อซับไพรม์, ราคาน้ำมันที่พุ่งสูงขึ้น, วิกฤติอุตสาหกรรมยานยนต์, การว่างงานเพิ่มขึ้นและ วิกฤติการเงินที่เลวร้ายที่สุดนับตั้งแต่เศรษฐกิจตกต่ำครั้งใหญ่. วิกฤตการณ์ทางการเงินคุกคามเสถียรภาพของเศรษฐกิจโดยรวมในเดือนกันยายนปี 2008 เมื่อ เลห์แมน บราเธอร์ส ล้มเหลวและ ธนาคาร ยักษ์ใหญ่อื่นๆตกอยู่ในอันตรายร้ายแรง.[99] เริ่มต้นในเดือนตุลาคม รัฐบาลกลางให้เงินกู้ยืม 245 พันล้าน $ กับสถาบันการเงินโดยผ่านทางโปรแกรมบรรเทาปัญหาสินทรัพย์[100](English: Troubled Asset Relief Program) ซึ่งผ่านไปโดยเสียงข้างมากและลงนามโดยบุช.[101]
หลังจากชัยชนะการเลือกตั้งของเขาในเดือนพฤศจิกายน ปี 2008, ตัวตายตัวแทนของบุช - บารัค โอบามา - ลงนามในกฎหมายการกู้คืนและการลงทุนใหม่ของอเมริกันปี 2009(English: American Recovery and Reinvestment Act of 2009) ซึ่งเป็นเงินกระตุ้นเศรษฐกิจจำนวน $ 787 พันล้านที่มุ่งช่วยให้เศรษฐกิจฟื้นตัวจากภาวะถดถอยที่ลึก. โอบามา, เช่นเดียวกับ บุช, เลือกขั้นตอนที่จะช่วยเหลืออุตสาหกรรมยานยนต์และป้องกันการละลายทางเศรษฐกิจในอนาคต. เหล่านี้รวมถึง จ่ายเงินประกันตัวของ General Motors และ ไครสเลอร์, ทำให้การเป็นเจ้าของอยู่ชั่วคราวในมือของรัฐบาล และโปรแกรม"เงินสดสำหรับช่างเคาะ"(English: cash for clunkers) ที่ดึงยอดขายรถใหม่ชั่วคราว.[102]
ภาวะถดถอยสิ้นสุดลงอย่างเป็นทางการในเดือนมิถุนายน 2009, และเศรษฐกิจเริ่มขยายตัวอีกครั้งอย่างช้าๆ.[103] อัตราการว่างงานสูงสุดที่ 10.1% ในเดือนตุลาคม 2009 หลังจากพุ่งขึ้นไปจาก 4.7% ในเดือนพฤศจิกายนปี 2007 และค่อยๆลดลงเป็น 6.7% ณ มีนาคม 2014. อย่างไรก็ตาม การเจริญเติบโตทางเศรษฐกิจโดยรวมยังคงอ่อนแอลงในยุค 2010s เมื่อเทียบกับการขยายตัวในทศวรรษก่อนหน้า.[104][105]
เหตุการณ์ที่เกิดขึ้นเมื่อเร็วๆนี้
จากปี 2009-2010, สภาคองเกรสชุดที่ 111th ได้ผ่านกฎหมายที่สำคัญเช่น พระราชบัญญัติการป้องกันผู้ป่วยและการดูแลรักษาที่สามารถจ่ายได้, การปฏิรูปวอลล์สตรืทของ Dodd-Frank และ พระราชบัญญัติคุ้มครองผู้บริโภค[106] และ พระราชบัญญัติยกเลิกไม่ถามไม่บอก, ที่ถูกลงนามให้เป็นกฎหมายโดยประธานาธิบดีโอบามา.[107] ต่อจากการเลือกตั้งกลางเทอมปี 2010 ซึ่งส่งผลให้พรรครีพับลิกันควบคุมสภาผู้แทนราษฎร และพรรคเดโมแครตควบคุมวุฒิสภา,[108] สภาคองเกรสได้เป็นประธานในช่วง gridlock ที่ถูกยกระดับสูงและการอภิปรายร้อนฉ่าว่าควรหรือไม่ที่จะปรับเพิ่มเพดานหนี้, การขยายการลดภาษีสำหรับประชาชนที่มีรายได้เกิน 250,000 ดอลลาร์ต่อปี และหลายประเด็นที่สำคัญอื่นๆ.[109] เหล่านี้ การอภิปรายอย่างต่อเนื่องนำไปสู่ ประธานาธิบดีโอบามา ลงนามในพระราชบัญญัติควบคุมงบประมาณ ปี 2011 และ พระราชบัญญัติบรรเทาการเสียภาษีชาวอเมริกันปี 2012, ซึ่งมีผลในการปรับลดการอายัดงบประมาณซึ่งมีผลบังคับใช้ในมีนาคม 2013 - รวมทั้ง การเพิ่มขึ้นของ ภาษีสำหรับผู้ร่ำรวยเป็นหลัก. gridlock ในรัฐสภาได้มีอย่างต่อเนื่อง เมื่อการเรียกร้องของสมาชิกรัฐสภาสายพรรครีพับลิกันเพื่อยกเลิกพระราชบัญญัติการคุ้มครองผู้ป่วยและการดูแลที่พอจ่ายได้, ที่เป็นที่รู้จักกันแพร่หลายว่าเป็น "Obamacare" พร้อมกับการเรียกร้องที่หลากหลายอื่นๆ, ที่มีผลในการปิดการทำงานของรัฐบาลครั้งแรกนับตั้งแต่รัฐบาลคลินตัน และเกือบนำไปสู่การผิดนัดชำระหนี้ครั้งแรกของสหรัฐตั้งแต่ศตวรรษที่ 19. อันเป็นผลมาจากการเจริญเติบโตของความผิดหวังกับทั้งสองพรรคในสภาคองเกรสตั้งแต่จุดเริ่มต้นของทศวรรษ, การจัดอันดับการอนุมัติของรัฐสภาตกต่ำเป็นประวัติการที่มีเพียง 11% ของชาวอเมริกันอนุมัติ ณ ตุลาคม 2013.[110]
เหตุการณ์สำคัญอื่นๆที่เกิดขึ้นในช่วงยุค 2010s รวมถึง การเพิ่มขึ้นของการเคลื่อนไหวทางการเมืองใหม่ทั่วโลก เช่น การเคลื่อนไหวของงานเลี้ยงน้ำชาอนุรักษนิยมในสหรัฐและ การเคลื่อนไหวเสรีนิยมครอบครอง. นอกจากนี้ยังมีสภาพอากาศเลวร้ายผิดปกติในช่วงฤดูร้อนปี 2012, และกว่าครึ่งหนึ่งของประเทศที่ประสบความแห้งแล้งที่ต้องบันทึก, พายุเฮอริเคนแซนดี้ ทำให้เกิดความเสียหายมากไปยังพื้นที่ชายฝั่งทะเลของนิวยอร์กและนิวเจอร์ซีย์. ในช่วงปลายเดือนตุลาคม การอภิปรายอย่างต่อเนื่องในเรื่องของสิทธิของชุมชน, ที่โดดเด่นที่สุดคือเรื่องของ การแต่งงานเพศเดียวกัน, เริ่มเปลี่ยนในความพอใจของคู่รักเพศเดียวกัน และได้รับการ สะท้อนให้เห็นในหลายสิบโพลล์ที่ออกมาในช่วงต้นของทศวรรษ,[111] ประธานาธิบดีโอบามาจะกลายเป็น ประธานาธิบดีคนแรกที่จะเปิดเผยว่าสนับสนุนการแต่งงานเพศเดียวกัน และปี 2013 การตัดสินใจของศาลฎีกาในคดีของ United States v. Windsor และ Perry v. Hollingsworth. ณ มิถุนายน 2013 การอภิปรายต่อเกี่ยวกับการอายัดอย่างต่อเนื่อง, เช่นเดียวกับการปฏิรูปภาษี, การแต่งงานเพศเดียวกัน, การปฏิรูปการตรวจคนเข้าเมือง, การควบคุมปืน และ นโยบายต่างประเทศของสหรัฐในตะวันออกกลาง
อ้างอิง
ดูเพิ่ม
สหรัฐ
หมวดหมู่:ประวัติศาสตร์สหรัฐ
panpan land
| https://th.wikipedia.org/wiki/%E0%B8%9B%E0%B8%A3%E0%B8%B0%E0%B8%A7%E0%B8%B1%E0%B8%95%E0%B8%B4%E0%B8%A8%E0%B8%B2%E0%B8%AA%E0%B8%95%E0%B8%A3%E0%B9%8C%E0%B8%AA%E0%B8%AB%E0%B8%A3%E0%B8%B1%E0%B8%90 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
704,
1767,
1987,
2334,
2619,
2973,
4325,
4758,
5520,
6146,
6490,
6908,
7476,
7761,
8255,
9095
],
"plaintext_end_byte": [
703,
1766,
1986,
2333,
2618,
2948,
4298,
4742,
5484,
6086,
6489,
6907,
7475,
7737,
8254,
9075,
10387
]
} | Apa itu peptida anionik? | Peptida antimikrobial | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
29
],
"minimal_answers_end_byte": [
153
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Peptida antimikrobial adalah komponen yang telah berevolusi dan terdapat secara permanen pada sistem imun bawaan dan ditemukan di seluruh kelas kehidupan. Perbedaan mendasar terdapat pada sel prokariot dan eukariot, yaitu yang merupakan target dari peptida antimikrobial. Peptida ini merupakan spektrum antibiotik yang luas. Peptida antimikrobial terbukti mampu membunuh bakteri gram positif dan bakteri gram negatif, termasuk strain yang yang resisten terhadap antibiotik konvensional, mycobacteria, virus yang terbungkus kapsul, jamur, dan bahkan sel kanker. Tidak seperti kebanyakan antibiotik konvensional, peptida antimikrobial dapat meningkatkan kekebalan dengan berfungsi sebagai immunomodulator.
Peptida antimikrobial unik dan terbagi dalam beberapa kelompok molekul yang terbagi lagi menjadi beberapa subkelompok berdasarkan komposisi dan struktur asam aminonya. Peptida antimikrobial umumnya terdiri dari 12 hingga 50 asam amino. Peptida ini termasuk dua atau lebih residu bermuatan positif dari arginin, lisin, histidin, dan residu hidrofobik. Struktur sekunder dari molekul ini terdiri dari 4 macam, yaitu alpha helical, beta stranded, beta hairpin, dan extended. Banyak peptida ini tidak terstruktur pada larutan bebas, dan terlipat menjadi konfigurasi akhirnya sepanjang penempatannya pada membran biologis. Peptida ini mengandung residu asam amino hidrofilik terbentang pada satu sisi sedangkan asam amino hidrofobik terbentang pada sisi yang berlawanan. Sifat ini memudahkan penempatan pada dua lapis membran lipid. Kemampuan untuk berasosiasi dengan membran adalah sifat asli dari peptida antimikrobial, meski permeabilisasi membran tidak diperlukan. Peptida ini memiliki berbagai aktivitas antimikrobial berkisar pada membran sel hingga sitoplasma.
Terdapat berbagai tipe peptida antimikrobial. Tipe pertama, yaitu peptida anionik, peptida ini kaya akan asam glutamat dan asam aspartat. Contohnya yaitu Maximin H5 yang terdapat pada amfibi, dan Dermcidin pada manusia.
Tipe kedua, yaitu peptida alpha helical kationik linear. Ciri utama dari peptida ini adalah minimnya kandungan sistein. Contohnya adalah Cecropin, Andropin, Moricin, Ceratotoxin, dan Melittin pada serangga, Magainin, Dermaseptin, Bombinin, Brevinin-1, Esculentin, dan Buforin II pada amfibi, CAP18 pada kelinci, LL37 pada manusia, dan sebagainya.
Tipe ketiga adalah peptida kationik yang diperkaya dengan asam amino spesifik. Ciri utama dari peptida ini adalah kaya akan prolin, arginin, fenilalanina, glisin, dan triptofan. Contohnya adalah Abaecin dan Apidaecin pada lebah madu, Prophenin pada babi, Indolicidin pada sapi ternak.
Tipe keempat adalah peptida kationik dan anionik yang mengandung sistein dan membentuk ikatan disulfida. Ciri utamanya adalah mengandung ikatan disulfida sebanyak setidaknya 1 hingga 3 ikatan. Contohnya adalah Brevinin, Protegrin pada babi, Tachyplesin pada kepiting tapal kuda, Defensin pada manusia, Drosomycin pada lalat buah.
Aktivitas antimikrobial
Macam pergerakan dari peptida antimikrobial dalam membunuh bakteri bervariasi. Kegiatan ini termasuk menghancurkan membran, mengganggu metabolisme, dan mengincar komponen sitoplasma. Kontak awal antara peptida dan organisme target adalah bersifat elektrostatik karena sebagian besar permukaan bakteri adalah anionik. Komposisi asam amino, sifat amfifatik, muatan kationik, dan ukuran memudahkan pepida antimikrobial dalam menempel dan masuk ke dalam membran untuk membentuk celah menuju ke dalam sel dengan berbagai mekanisme. Selain dengan cara itu, peptida antimikrobial juga dapat masuk ke dalam sel secara langsung untuk mengikat molekul intraseluler yang penting bagi sel hidup. Pengikatan intraseluler termasuk menghalangi sintesis dinding sel, perubahan membran sitoplasma, aktivasi autolisin, menghalangi DNA, RNA, dan sintesis protein, dan menghalangi enzim tertentu. Namun, di banyak kejadian, mekanisme sebenarnya dari peptida antimikrobial dalam membunuh bakteri belum diketahui. Berlawanan dengan berbagai antibiotik konvensional, peptida ini bekerja sebagai bakteriosida (pembunuh bakteri) daripada bakteriostatik (penahan pertumbuhan bakteri). Secara umum, aktivitas peptida antimikrobial bergantung pada konsentrasi inhibitor. Semakin tinggi konsentrasi inhibitor, semakin tinggi kinerja pepida antimikrobial.
Aktivitas imunomodulatori
Sebagai tambahan dalam membunuh bakteri secara langsung, peptida antimikrobal telah terbuki memiliki sejumlah fungsi imunomodulator yang dapat terlibat dalam pembersihan infeksi, termasuk kemampuan untuk mengubah sifat gen bakteri, bertindak sebagai chemokine atau menginduksi terjadinya proses produksi chemokine, menghalangi lipopolisakarida yang mengakibatkan terbentuknya sitokin pro-inflammatory, dan sebagainya.
Potensi terapi
Peptida antimikrobial adalah kandidat yang sangat baik untuk pengembangan medium dan komplemen terapi yang penting dibandingkan dengan terapi antibiotik konvensional. Hal ini dikarenakan peptida antimikrobial tidak mengakibatkan resistansi bakteri selayaknya antibiotik yang dapat terjadi pada berbagai keadaan. Peptida antimikrobial beraksi sebagai bakteriosida, bukan bakteriostatik, sehingga hanya membutuhkan sedikit waktu untuk melakukan kontak dengan bakteri dan membunuhnya. Sejumlah peptida dan turunannya yang ada secara alami telah berkembang sebagai terapi anti infeksi baru untuk berbagai kondisi seperti oral muscositis, infeksi paru-paru yang berasosiasi dengan cystic fibrosis, kanker, dan infeksi kulit tropis.
Selektivitas peptida antimikrobial
Dalam kompetisi sel bakteri dan sel yang terinfeksi dengan peptida antimikrobial, peptida antimikrobial lebih memilih berinteraksi dengan sel bakteri dibandingkan dengan sel mamalia yang membuat mereka mampu membunuh mikroorganisme tanpa membuat kerusakan berarti pada sel mamalia. Selektivitas adalah sifat yang sangat penting dari peptida antimikrobial dan dapat menjamin fungsi kerja mereka. Sesungguhnya, peptida antimikrobial cukup beracun jika berinteraksi pada sel mamalia, namun dengan adanya sifat selektivitas merupakan keuntungan berarti bagi sel mamalia.
Faktor yang memengaruhi selektivitas peptida antimikrobial
Terdapat beberapa faktor yang berhubungan erat dengan sifat selektivitas dari peptida antimikrobial, dan sifat kationik berkontribusi cukup besar. Akibat dari permukaan membran bakteri yang bermuatan lebih negatif daripada sel mamalia, peptida antimikrobial akan menunjukkan perbedaan afinitas terhadap membran bakteri dan membran sel mamalia.
Terdapat faktor lain yang memengaruhi selektivitas peptida antimikrobial. Telah diketahui secara umum bahwa kolesterol tersebar secara luas pada membran sel mamalia sebagai bahan penstabil membran, namun tidak terdapat pada membran sel bakteria. Keberadaan kolesterol ini mengurangi aktivitas peptida antimikrobial, sehingga keberadaan peptida antimikrobial melindungi sel mamalia dari serangan peptida antimikrobial.
Selain itu, potensial transmembran diketahui memengaruhi interaksi lipid-peptida. Terdapat potensial transmembran negatif-dalam yang ada dari lapisan terluar hingga terdalam dari membran sel dan hal ini memfasilitasi permeabilisasi membran yang mungkin dengan mempermudah insersi dari peptida bermuatan positif menuju membran. Untuk perbandingan, potensial transmembran dari sel bakteri lebih negatif daripada sel mamalia normal, sehingga peptida antimikrobial akan lebih cenderung untuk menyerang membran sel bakteri karena muatan positif dari peptida antimikrobial.
Diyakini juga bahwa peningkatan kekuatan ionik, yang secara umum mengurangi aktivitas peptida antimikrobial berkontribusi secara parsial terhadap selektivitas peptida antimikrobial dengan memperlemah interaksi elektrostatik yang dibutuhkan untuk interaksi awal.
Mekanisme selektivitas
Membran sel bakteri kaya akan asam fosfolipid, seperti fosfatidilgliserol dan cardiolipin. Kelompok fosfolipida ini sangat bermuatan negatif, karena itulah lapisan terluar dari bilayer yang terekspos ke luar membran bakteri sangat atraktif terhadap serangan peptida antimikrobial yang bermuatan positif. Interaksi ini terutama terjadi karena interaksi elektrostatik, yang merupakan pengendali utama dari pengikatan seluler. Aktivitas antar permukaan hidrofobik juga berperan meski cukup kecil.
Berlawanan dengan itu, lapisan terluar dari membran tanaman dan mamalia tersusun atas lipid yang bermuatan total hampir sama dengan nol karena lipid yang bemuatan negatif tersusun di dalam lapisan dalam membran. Pada kasus se mamalia, permukaan terluar membran umumnya terbuat dari fosfatidilkolin dan sphingomyelin zwiterionik, meski sedikit bagian dari membran terluar mengandung gangliosida yang bermuatan negatif. Interaksi hidrofobik antara permukaan hidrofobik dari peptida antimikrobial amfipatik dan fosfolipid zwiterionik pada permukaan sel memainkan peranan penting dalam menciptakan formasi ikatan peptida-sel. Namun, interaksi hidrofobik relatif lemah dibandingkan dengan interaksi elektrostatik, sehingga dapat diambil kesimpulan bahwa peptida antimikrobial akan memilih berinteraksi dengan membran bakteri.
Resistansi bakteri
Bakteri menggunakan berbagai strategi resistansi untuk menghindari proses pemusnahan yang dilakukan peptida antimikrobial. Beberapa mikroorganisme mengubah muatan total permukaan tubuhnya. Staphylococus aureus memindahkan D-alanin dari sitoplasma ke permukaan asam teichoic untuk mengurangi total muatan negatif. S. aureus juga memodifikasi membran anionik melalui MprF dengan L-lisin, meningkatkan total muatan positif. Interaksi peptida antimikrobial dengan target membran bisa dibatasi dengan kapsul polisakarida dari Kleibsiella pneumoniae. Perubahan juga terjadi pada lipid A dari spesies Salmonella, mengurangi tingkat fluiditas dari membran terluar mereka dengan meningkatkan interaksi hidrofobik antara sejumlah ekor asil Lipid A dengan menambahkan miristat ke Lipid A dengan 2 hidroksimiristat dan membentuk heptaasilat Lipid A dengan menambahkan palmitat. Penambahan jumlah momen hidrofobik diyakini untuk memperlambat atau menghentikan insersi peptida antimikrobial dan pembentukan celah. Residu ini mengalami perubahan di protein membran. Di beberapa bakteri gram negatif, perubahan terhadap produksi protein membran berhubungan dengan resistansi terhadap proses pemusnahan peptida antimikrobial. Bakteri juga memproduksi enzim proteolitik yang mendegradasi peptida antimikrobial.
Pranala luar
Antimikrobial | https://id.wikipedia.org/wiki/Peptida%20antimikrobial |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
498,
974,
1713,
1985,
2181,
2631,
2953,
3182,
3470,
3729,
3976,
4268,
4644,
4941,
5626,
6225,
6882,
7074,
7843,
8032,
8118,
8553,
9210,
9359,
9733,
10260,
10686,
10783,
11656,
12496,
12626,
12789,
13800,
14022,
14258
],
"plaintext_end_byte": [
497,
956,
1702,
1984,
2167,
2630,
2938,
3181,
3469,
3700,
3975,
4267,
4643,
4931,
5625,
6224,
6881,
7049,
7790,
8031,
8096,
8552,
9209,
9358,
9723,
10253,
10685,
10769,
11632,
12449,
12587,
12788,
13799,
13971,
14208,
14325
]
} | Kuka omistaa Kampin? | Kampin keskus | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
4
],
"minimal_answers_start_byte": [
2043
],
"minimal_answers_end_byte": [
2065
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Kampin keskus on Helsingin keskustassa, Kampin kaupunginosassa sijaitseva joukkoliikenneterminaali ja kauppakeskus. Se sijaitsee vanhan linja-autoaseman bussikentällä, Lasipalatsin takana. Rakennusryhmä käsittää Narinkkatorin, Urho Kekkosen kadun, Fredrikinkadun ja Salomonkadun välisen korttelin kokonaisuudessaan, jota paitsi katujen ali kulkevat käytävät yhdistävät sen myös viereisissä kortteleissa sijaitsevaan Sähkötaloon ja Scandic Hotelli Simonkentän rakennukseen.
Terminaalin läpi kulkee päivittäin noin 200000 ihmistä, ja se on yksi Pohjoismaiden vilkkaimmista terminaalialueista. Kampin keskus koostuu erillisestä Espooseen suuntautuvan paikallisbussiliikenteen terminaalista, kaukoliikenteen terminaalista, Kampin kauppakeskuksesta ja Kampin metroasemasta. Rakennusryhmään liittyvät myös samassa korttelissa Urho Kekkosen kadun puolella olevat asuinrakennukset, joiden alimpiin kerroksiin kauppakeskus ulottuu.
Hankkeen perusta
Kunnianhimoisen rakennusprojektin tavoitteena oli Kampin suuren maanpäällisen linja-autokentän tehokkaampi hyödyntäminen. Samalla saatiin lisää liike-, toimisto- ja asuinrakennuksia. Erityisenä tavoitteena oli Espoon suunnan seutubussien sekä kaukoliikenteen linja-autoterminaalin ja tavara-aseman sijoittaminen maanalaisiin tiloihin. Kampin keskuksen asemakaava vahvistettiin 6. kesäkuuta 2000. Helsingin kaupunki ja SRV Viitoset Oy solmivat 14. kesäkuuta 2002 sopimuksen Kampin keskuksen suunnittelusta ja toteuttamisesta. Rakennusyhtiö sai tontin käyttöönsä sillä ehdolla, että rakentaa alueen valmiiksi veloituksetta sisältäen ulkotilat sekä linja-autoasemat Espoon liikenteelle sekä kaukoliikenteelle.
Omistajat
Huhtikuussa 2006 kauppakeskuksen omistajat, SRV-yhtiöt ja Pontos, myivät sen koko osakekannan Royal Bank of Scotlandille ja Boultbeelle 345 miljoonalla eurolla. Samalla keskuksen toimitusjohtaja Henrik Wiberg jätti tehtävänsä, ja hänen tilalleen nousi Tuomas Sahi.
Maaliskuussa 2008 brittiläinen kiinteistösijoitusyhtiö Protego Real Investors osti kauppakeskuksen 452,5 miljoonalla eurolla hallinnoimansa Nordic Retail Fund -rahaston nimiin.[1]
Rakentaminen
Maanalaista terminaalia varten kaivettiin 300×100×10 metrin kaivanto, josta puhkaistiin uusi sisäänkäynti Kampin metroasemalle. Vapaa tila terminaalin päällä (Tennispalatsinaukio) varattiin toriksi jalankulkijoille ja sen ohi kulkeva Salomonkatu kävelykaduksi. Rakennusaikana kaivannon alapuoliselle metroasemalle tihkui sateella kallion läpi vettä. Halkeamien syntyä edistivät osaltaan räjäytystyöt, jotka tärisyttivät maaperää.
Rakennusvaiheen kiihkeimpään aikaan alueella saattoi nähdä liki kymmenen nostokurkea urakoimassa. Pimeän työvoiman käytön ehkäisemiseksi työmaa noudatti urakoitsijoiden henkilökunnan kulunvalvontaa henkilökortteineen. Suljetulle työmaa-alueelle pääsivät ainoastaan valtuutetut työntekijät.
Valmistuminen
Presidentti Tarja Halonen avasi terminaalin 2. kesäkuuta 2005 klo 14.00 käynnistämällä metroasemalle johtavat liukuportaat. Avajaisiin osallistui myös valtiovierailulla ollut Tšekin presidentti Václav Klaus puolisoineen.
Kampin keskus valmistui kahdessa osassa. Kesällä 2005 terminaalista valmistui noin viidennes eli kaukoliikenteen terminaali, Espoon-bussiterminaali, uudet liukuportaat Kampin metroasemalle sekä matkakeskus ja Espoon-terminaalin tasolla olevat kaupat (mm. K-Supermarket ja kahviloita).
Kampin keskuksen toinen vaihe valmistui 2. maaliskuuta 2006, jolloin avattiin Kampin 5-kerroksinen kauppakeskus terminaalin yläpuolelle. Samalla otettiin käyttöön rakennusryhmään liittyvät asunnot sekä piha- ja torialueet.
Laajentuminen Sähkötaloon
Kampin keskus laajeni Helsingin Energian Sähkötaloon. Laajennusosa avautui asiakkaille 11. lokakuuta 2007. Kampin kauppakeskuksen laajennusosaan kuuluvat Sähkötalon kaksi alinta kerrosta sekä vanhan sähköaseman Malminrinteen puoleinen osa.
Uusissa tiloissa oli noin 4000 neliömetriä vuokrattavaa liiketilaa ja toimintansa siellä
aloitti 16 uutta yrittäjää, muun muassa joka päivä iltamyöhään saakka auki oleva Lidl. Kaiken kaikkiaan Kampin kauppakeskuksessa on nyt liiketiloja noin 40000 neliömetriä ja yrityksiä 166.
Sähkötalo toimii muutostöiden jälkeenkin Helsingin Energian pääkonttorina. Myös Helsingin Energian asiakaspalvelu jatkaa uusituissa tiloissa, joiden suunnittelussa on kiinnitetty huomiota erityisesti palvelun sujuvuuteen ja monipuoliseen, energiatehokkuutta edistävään energianeuvontaan. Sähkötalossa jatkuvat energianjakelun varmuutta turvaavat valvomotoiminnot.
Peruskorjauksen tuloksena toteutui Sähkötalon suunnitelleen arkkitehti Alvar Aallon 30 vuoden takainen visio tilojen liittämisestä kiinteäksi osaksi Kampin alueen uutta liikekeskustaa. Samoilla linjoilla alueen kehittämisestä olivat olleet myös Helsingin kaupungin päättäjät.
Yleistä
Keskuksen suunnitteluratkaisu on tehnyt mahdolliseksi linja-autojen valtaaman kentän muuttamisen autottomaksi alueeksi. Alueen koko on noin 3 hehtaaria ja sen rakentaminen kesti noin 4½ vuotta. Keskuksen bruttoneliömäärä on 135000m², josta liiketilaa on 37000m², toimistoja 12500m² ja asuntoja 6000 neliötä. Rakennustyöt aloitettiin elokuussa 2002. Hankkeen pääurakoitsija oli SRV Viitoset Oy ja maanpäällisten osien pääsuunnittelija Arkkitehtitoimisto Juhani Pallasmaa Ky, joka palkittiin Vuoden teräsrakenne 2006 -palkinnolla.[2] Liikenneterminaalit palkittiin Vuoden betonirakenne 2005 -palkinnolla, pääsuunnittelija oli Arkkitehtitoimisto Davidsson Oy.[3]
Sisäänkäyntejä Kamppiin on yhdeksän, joista kaksi sijaitsee Narinkkatorilla, kaksi Tennispalatsin aukiolla, kaksi Urho Kekkosen kadulla, yksi Fredrikinkadulla Kampin metroasemaa vastapäätä, sekä yksi Fredrikinkadun ja Urho Kekkosen kadun risteyksessä. Terminaalista on myös suora yhteys Kampin metroasemalle. Terminaalissa odotustilat ja lähtölaiturit on erotettu lasiseinällä ja ovilla. Ovet aukeavat niiden vieressä olevaa nappia painamalla vasta, kun bussi on saapunut laiturille. Laitureilta päin odotustilaan tultaessa ovet aukeavat aina, vaikka bussi ei olisikaan laiturilla.
Terminaalissa on Suomen laajin ja kehittynein liikenteen informaatiojärjestelmä. Se sisältää mm. useita sähköisiä informaatiotauluja, joista näkee esim. milloin ja mistä mikäkin bussi lähtee. Lisäksi terminaalista löytyy kolme suurta ns. kokoojanäyttöä, noin 20 aikataulumonitoria, 52 lähtölaiturimonitoria, 65 kuljettajamonitoria sekä 90 ilmaisin- ja varoitusnäyttöä. Terminaalissa on myös näyttö, joka kertoo Helsingin päärautatieasemalta lähtevät lähijunat. Metron liukuportailla puolestaan on näyttö, joka näyttää minuutteina jäljellä olevan ajan kuuden seuraavan metron lähtöaikaan sekä niiden määränpään.
HSL:n reittioppaan eräät "Kamppi(M)"-merkitsemät[4] bussilaiturit kuten 71[5] ja 72 ovat kuitenkin Kampin keskuksen ulkopuolella "Autotalon" edessä Salomonkadulla.
Kaukoliikenneterminaali
Kaukoliikenteen terminaali on Helsingin linja-autoasema. Sieltä lähtevät kaikki Helsingistä lähtevät kaukoliikenteen bussit. Terminaali avattiin maanantaina 6. kesäkuuta 2005. Se sijaitsee K-kerroksessa eli –1-kerroksessa, maan alla, noin kuusi metriä maanpinnan alapuolella. Kaukoliikenneterminaali on noin 14 metriä leveä ja 125 metriä pitkä. Päivittäin terminaalista lähtee n. 700 bussivuoroa eri puolille Suomea. Ruuhkaisimpina aikoina terminaalissa saattaa olla odottamassa jopa 300–350 henkilöä yhtä aikaa. Kaukoliikenneterminaalissa on opastetaulujen lisäksi myös kuulutusjärjestelmä, joka kuuluttaa kaikki pikavuorot, mutta se on poistettu käytöstä. Terminaalissa on 35 laituria.
Kaukoliikenneterminaali
Espoon-bussiterminaali
Espoon-terminaali on Espoon suuntaan, Länsiväylää kulkevien bussien lähtöpaikka. Terminaali sijaitsee E-kerroksessa eli katutasossa. Espoon-bussiterminaalissa on 17 lähtölaituria.
Espoon bussiterminaali
Terminaalin läntinen sisäänkäynti
Kauppakeskus Kamppi
Kauppakeskus Kamppi sijaitsee terminaalissa kerroksissa 1–5, Espoon-bussiterminaalin yläpuolella. Kauppakeskuksen avasi torstaina 2. maaliskuuta 2006 kello 9 Helsingin kaupunginjohtaja Jussi Pajunen. Kauppakeskuksessa on arvioitu käyvän ihmisiä jopa 100000 päivässä ja 35 miljoonaa vuodessa. Vuosimyynniksi on arvioitu yli 200 miljoonaa euroa. Kauppakeskuksessa toimii yli 150 liikettä ja ravintolaa. Ravintoloita on yli 20.
Kauppakeskuksen ensimmäisessä kerroksessa on suurin osa kahviloista ja ravintoloista. Ne sijoittuvat pääosin Tennispalatsinaukion puolelle, missä niillä on kesäisin terassi. Ensimmäinen ja toinen kerros on teemoitettu muotiin ja vaatetukseen erikoistuneisiin liikkeisiin. Kolmannessa kerroksessa puolestaan on mm. lastentarvikeliikkeitä ja kodin sisustusta myyviä liikkeitä. Neljäs kerros on teemoitettu urheilulle ja kuntoilulle. Urheiluliikkeiden lisäksi kerroksessa sijaitsee mm. kuntokeskus ja keilahalli. Viidennessä kerroksessa on mm. nuorisomuotia myyviä liikkeitä, pelejä, nettikahvila, tanssikoulu sekä ravintolamaailma Kortteli.
Kauppakeskuksen bruttopinta-ala on 135000 neliömetriä, mistä liiketilaa on 35000 neliötä. Terminaalissa on maanalaisia tiloja noin 3 hehtaaria.
Kampin keskuksesta on maanalainen yhteys kauppakeskus Forumiin ja päärautatieasemalle. Kampin pysäköintihallissa on paikkoja 250 autolle. Se sijaitsee kaukoliikenneterminaalin alapuolella, mihin sieltä on suora hissiyhteys. Pysäköintihalliin pääsee Olavinkadun rampista. Lisäksi kaukoliikenneterminaaliin on varattu neljä taksin otto- ja jättöpaikkaa.
Narinkka
Narinkka on Kampin keskuksen vieressä oleva torialue. Se sijaitsee kauppakeskuksen ja vanhan linja-autoaseman välissä. Narinkka sai nimensä Simonkadun yläpäässä, nykyisen Scandic Hotel Simonkentän paikalla vuosina 1870-1930 sijainneen juutalaisten torikojualueen mukaan (venäjäksi на рынке, na rynka ’torilla’). Narinkkatorilla on järjestetty lukuisia tapahtumia, kuten katusähly-, tossulätkä- ja beachvolleyturnauksia.
Helsingin Euroviisujen 2007 aikaan Narinkka toimi virallisena viisutorina.
Gekko
Gekko on kampin terminaalissa sijaitseva, pienistä keltaisista laatoista valmistettu keramiikkataideteos. Se on rakennettu katutason keskusaulasta, kaukoliikenteen bussiterminaalin läpi, alas metroasemalle vievien liukuportaiden kuilun päälle. Teos on halkaisijaltaan noin neljä metriä ja siinä on keramiikkaosia noin 275m². Sen ovat valmistaneet keramiikkataiteilijat Pekka Paikkari, Kristina Riska ja Kati Tuominen.
Terminaalista Kampin metroasemalle vievät liukuportaat.
Gekko
Kampin metroasema
Turvallisuus
Kampin keskuksen turvallisuutta valvoo turvavalvomo ympäri vuorokauden kameravalvonnalla ja poikkeustilanteita varten tiloissa on kuulutuslaitteet yleisön ohjaamista varten. Myös näyttötaulut saadaan viestittämään poikkeustilanneinformaatiota. Kampin terminaalissa on maakaasubusseilla liikennöinti turvallisuussyistä kielletty, koska terminaalin suunnittelussa ei tätä polttoainevaihtoehtoa huomioitu. HSL onkin tämän vuoksi kieltänyt maakaasubussien käyttämisen niillä linjoilla, joiden lähtöpaikka on Kampin keskuksessa. Kiellon syy on pelko räjähdysvaarasta tulipalotilanteessa. Mikäli maakaasubussin lähettyvillä syttyy tulipalo, laskevat autossa olevat varolaitteet kaiken kaasun kerralla ulos. Tämä on hyvä ulkoilmassa, mutta sisätilassa äärimmäisen huono, kun kaasu ei pääse vapaasti leijailemaan taivaalle.
Sokeain kunniamaininta
Kampin keskus palkittiin marraskuussa 2005 Sokeain viikon "Hyvin tehty" -kunniamaininnalla. Terminaalissa näkövammaisen liikkuminen sujuu rakennuksen kokoon nähden hyvin. Rakennus on suunniteltu turvalliseksi ja toiminnalliseksi. Terminaalin pääovien luona on sokeille tarkoitettu kohokuvioinen kartta, johon on merkitty liukuportaat, hissit ja muu tarpeellinen kohokirjaimin. Jokainen laituri on myös merkitty kohokirjaimin, jotta näkövammaiset kykenisivät helpommin tunnistamaan ne. Lattioissa on sokeille tarkoitetut metalliset pienet kohoumaviivat, jotka johdattavat kaikille bussiterminaalin lähtölaitureille. Katoissa on pitkä, viivamainen valaistus, joka johdattaa hämäräsokeita Espoon-bussiterminaalista kaukoliikenneterminaaliin sekä Kampin metroaseman liukuportaille.
Espoon-bussiterminaalista lähtevät bussit
Laiturit 53-57 ovat varalla sekä 58–60 Espoon terminaaliin saapuvien bussien laitureita.
Kampin kaukoliikenteen bussien reitit
Alla mainittu kaikkien tiesuuntien bussit, niiden reittikadut Helsingin kantakaupungista lähdettäessä ja kyseessä olevien bussien tärkeimmät kohdekaupungit.
Länsiväylälle (Kirkkonummi, Karjaa, Hanko) bussit kulkevat Ruoholahdenkatua ja Porkkalankatua
Turunväylälle (Nummela, Ojakkala, Vihti (Ojakkalan tai Nummelan kautta), Lohja, Salo, Turku, Pori, Rauma) bussit kulkevat Mannerheimintietä, Tukholmankatua ja Huopalahdentietä
Vihdintielle (Vihti, Karkkila) bussit kulkevat Mannerheimintietä ja Vihdintietä
Hämeenlinnanväylälle (Klaukkala, Hämeenlinna, Tampere) bussit kulkevat Mannerheimintietä
Tuusulanväylälle* (Hyrylä, Järvenpää) bussit kulkevat Mannerheimintietä, Helsinginkatua, Sturenkatua ja Mäkelänkatua
Lahdenväylälle (Mäntsälä, Lahti, Jyväskylä, Mikkeli) bussit kulkevat Mannerheimintietä, Helsinginkatua, Sturenkatua, Hämeentietä ja Kustaa Vaasan tietä
Porvoonväylälle (Porvoo) bussit kulkevat Mannerheimintietä, Helsinginkatua, Sturenkatua, Hämeentietä ja Kustaa Vaasan tietä
Itäväylälle (Porvoo, Kouvola, Kotka) bussit kulkevat Mannerheimintietä, Helsinginkatua, Sturenkatua, Aleksis Kiven katua ja Junatietä
(*) Yöaikaan (n. 23-05) lähes kaikki bussit muualle Suomeen kulkevat Helsinki-Vantaan lentoaseman kautta, jolloin bussit Kampista kulkevat Tuusulanväylän reitin kautta
Kaukoliikenneterminaalista lähtevät seutulinjat
Kaukoliikenneterminaalista lähtee myös seutulinjoja ja vakiovuoroja, jotka menevät HSL-alueen ulkopuolelle, mutta niillä kelpaa HSL-taksat sen alueella. Niitä kutsutaan U-linjoiksi.
[9]
Lähteet
Aiheesta muualla
Coordinates:
*
Luokka:Vuoden betonirakenne
Luokka:Seulonnan keskeiset artikkelit
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Kampin%20keskus |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
270,
939,
1186,
1614,
2256,
2883,
3179,
3601,
3763,
3968,
4398,
5180,
6021,
6373,
7048,
7440,
7575,
7743,
7920,
8355,
8753,
9182,
10435,
12411,
12694,
13253,
15302,
16249,
16817,
17346,
19459,
20016,
20483,
21145,
22168,
23310,
24850,
25293,
25695,
25910,
26268,
26801,
26972,
27260,
28393,
29190,
29494,
29963,
30033,
30111,
30172,
30981,
31560,
31990,
32308,
33161,
33257
],
"plaintext_end_byte": [
269,
938,
1178,
1613,
2255,
2882,
3178,
3572,
3762,
3960,
4397,
5179,
6013,
6322,
7047,
7417,
7574,
7742,
7919,
8354,
8751,
9155,
10408,
12355,
12693,
13252,
15258,
16248,
16784,
17345,
19435,
20015,
20482,
21103,
22167,
23309,
24849,
25292,
25694,
25909,
26267,
26783,
26971,
27247,
28355,
29189,
29493,
29962,
30031,
30108,
30164,
30970,
31549,
31979,
32270,
33146,
33231,
33287
]
} | 최초의 원자력 발전소는 무엇인가? | 원자력 발전소 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
4
],
"minimal_answers_start_byte": [
2154
],
"minimal_answers_end_byte": [
2164
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
원자력발전소() 또는 핵발전소</b>는 원자력을 이용하여 발전을 하는 발전소이다. 원자핵이 붕괴하거나 핵반응을 일으킬 때 방출되는 에너지를 이용, 발전기를 돌려 전력을 생산하는 시설을 갖춘 곳이다.
물을 끓여 수증기를 만들고 이 수증기를 이용해 터빈을 돌려 전기를 생산한다는 점에서는 화력발전과 동일하지만, 화력발전은 석탄, 가스, 석유 등의 화석연료를 태워서 물을 끓이는 데 반해 현재 원자력발전에서는 핵분열에서 나오는 에너지를 이용해 물을 끓인다는 점에서 차이가 있다. 그러므로 화력발전은 온실가스의 배출이 많지만 원자력 발전은 온실가스의 배출이 거의 없어 친환경에너지라고 한다. 하지만 발전과정에서 불가피하게 발생하는 방사선 및 방사성 폐기물을 엄격하게 관리해야 한다.
현재 사용되는 연료로는 우라늄 235를 농축시킨 농축 우라늄[1]과 천연 우라늄등을 사용한다. 현재는 플루토늄을 우라늄과 같이 혼합한 혼합 산화물 연료(MOX 연료)가 시험 중에 있다.
역사
19세기 들어서면서 원소의 주기율표와 원자모형에 대한 이론이 발전하면서 물질의 구조에 대한 과학적 지식이 축적됐다. 이와 더불어 핵분열 전후에 발생하는 원자핵의 무게 차이, 즉 결손된 질량만큼 에너지가 발생하게 되는걸 발견하게 된다. 핵분열 에너지의 원리가 밝혀지자 원자력 관련 기술 개발에 불이 붙게 되었다.
현재 사용되는 핵분열 방식을 이용한 전력생산은 1948년 9월 미국 테네시주 오크리지에 설치된 X-10 흑연원자로에서 전구의 불을 밝히는 데 사용되면서 시작되었다. 그리고 1954년 6월에 구소련의 오브닌스크에 건설된 흑연감속 비등경수 압력관형 원자로를 사용한 오브닌스크 원자력 발전소가 시험적으로 전력생산을 시작하였고, 최초의 상업용 원자력 엉더이로를 사용한 영국 셀라필드 원자력 단지에 위치한 콜더 홀(Calder Hall) 원자력 발전소로, 1956년 10월 17일 상업 운전을 시작하였다.
그 후 1979년 3월 28일 스리마일 섬 원자력 발전소에서 운전원의 조작 실수로 인한 냉각재 상실사고로 인해서, 노심용융사고가 일어났다. 그리고 1986년 4월 26일 소비에트 연방의 체르노빌 원자력 발전소에서는 운전원들의 조작 실수로 인해 원자로를 제어하지 못하는 상황이 발생하여 노심용융이 일어났다. 체르노빌 원자력 발전소의 기종인 RBMK는 격납용기가 없었고, 당시 운전원들이 실험을 하기위해 비상노심냉각장치를 일부러 껐기 때문에, 피해는 스리마일보다 더 컸다.
이후 2011년 3월 11일 동일본 지역을 중심으로 발생한 대지진과 쓰나미로 7등급 후쿠시마 제1 원자력 발전소 사고가 일어났다. 10만명 이상의 피난주민이 발생했으며, 발전소 반경 20km 이내 피난구역에 살던 주민들은 이주했다.
2016년 11월을 기준으로, 전 세계에는 448기의 발전로가 있고, 58기의 발전로가 건설 중에 있으며, 세계의 전력공급량의 약 15%를 원자력이 담당하고 있다. 신규 원전건설 대상 노형도 대부분이 경수로형인 것으로 나타나 있으며, 2030년까지도 경수로가 주력 원전으로서 역할을 지속할 것으로 전망된다.
핵연료 사이클
종류
원자력 발전소</b>의 원자로는 크게 3종류가 있으며, 핵융합로를 제외한 열반응로와 증식로가 현재 발전에 사용되고 있다.
중성자가 일으키는 연쇄반응으로 열을 내는 열반응로
플루토늄을 연료로 쓰는 증식로
삼중수소, 혹은 중수소를 연료로 쓰는 핵융합로 - 현재 개발중
구조
원자력발전소는 원자로와 터빈발전기 등의 핵심시설이 배치된 하나의 대형 구조물과 외부의 보조시설로 구성된다. 가압경수형 원자력발전소는 원자로격납건물, 원자로보조건물 및 터빈건물로 이루어진 발전소 건물과 외부의 보조시설인 복합건물, 수처리건물, 비상발전기건물, 취수건물 및 냉각수 보관탱크들로 구성된다.
원자로 격납건물: 두꺼운 철근콘크리트 건물로, 내부의 정중앙에는 원자로가 위치한다. 만일의 사고 시 방사성 물질의 외부 누출을 방지하는 최후방벽 역할을 한다.
원자로 용기: 핵연료를 장전하여 연쇄적인 핵분열반응이 일어나도록 하는 탄소강 재질의 금속 압력용기이다.
증기 발생기: 원자로에서 전달된 열을 이용하여 2차계통의 냉각수를 가열하여 증기를 발생시키는 장치이다.
냉각재 펌프: 원자로 냉각재를 순환시키고 가압기는 계통의 압력을 유지하고 조절한다.
원자로 보조건물: 냉각재 계통의 운전을 지원하는 모든 보조계통들이 배치되는 격납건물 외부의 콘크리트 건물이다.
원자력발전소를 설계할 때는 동일 기능을 수행하는 기기나 계통들은 서로 다른 작동 원리를 갖도록 하거나, 물리적으로 분리하여 배치함으로써 다중영향 사건(화재 등)이 발생했을 때 설비들이 동시에 기능을 상실할 가능성을 최소화하도록 설계한다. 동일한 원인으로 인해서 2개 이상의 기기나 설비가 동시 또는 짧은 시간 내에 고장이 나거나 기능을 수행하지 못하는 경우를 '공통원인고장'이라고 하는데, 이런 현상은 주로 부식‧피로‧마모와 같은 기기 내부의 원인, 보수‧시험 중의 인적실수, 보수‧시험 등을 위한 절차서의 결함, 부적절한 설계 및 설계상의 오류, 습기‧온도‧진동 등과 같은 환경적 요인으로 발생한다.
농축
천연 우라늄은 99 %의 우라늄 238과 0.7 %의 우라늄 235를 포함하고 있다. 우라늄 238은 핵분열시키기 어려우므로 중수로를 제외한 다른 원자로들은 천연 우라늄을 농축하여 우라늄 235의 비율을 높이는 과정인 농축 과정이 필요하다.
원전 안전성[2]
원전의 기본안전 원칙
원자력 발전소는 안전의 관점에서 중요하게 다루어야 할 2가지의 특징적인 요소를 갖는다. 하나는 에너지의 생성과정에서 방사성물질이 발생하는 것이며, 다른 하나는 원자로가 정지된 이후에도 핵연료에서 방사성핵종의 붕괴에 의한 붕괴열이 오랜 시간 동안 발생한다는 것이다. 따라서 원자로의 반응도 제어, 핵연료의 냉각, 방사성물질의 격납은 원전의 3가지 기본안전기능으로 분류하고 있으며, 심층방어 개념에 따라 원자로보호계통과 공학적안전설비의 설치를 통해 이러한 안전기능을 수행하게 된다.
국제원자력안전그룹(INSAG[3])은 1999년 <INSAG-12> 보고서 [4]<원전의 기본안전원칙>에서 원전 안전성 확보에 관한 이해를 돕기 위한 체계를 제시하였다. 이는 원전의 3가지 안전목표, 안전관리에 관한 3가지 원칙, 심층방어에 관한 3가지 원칙, 그리고 9가지 기술적인 원칙들로 구성된다.
원자력안전목표
일반원자력안전목표 - 원전에 효과적인 방어책을 수립, 유지함으로써 개인과 사회, 환경을 보호할 것
. 방사선방호목표 - 정상운전에 의한 방사선영향은 제한치 이내에서 합리적으로 낮추고 사고에 의한 영향의 완화를 보장할 것
기술안전목표 - 사고를 예방하고, 만약의 사고 시에도 설계에서 영향이 없도록 하며, 중대사고 발생 가능성을 극히 낮음을 보장할 것
안전관리 원칙: 안전문화, 운영조직의 책임, 규제 및 검증
심층방어 원칙: 심층방어, 사고예방, 사고완화
일반기술원칙: 입증된 공학의 활용, 품질보증, 자체평가, 상호검토, 인적요소, 평가 및 검증, 방사선방호, 운영경험 및 안전연구, 운전 우수성
세부원칙: 부지선정, 설계, 제작과 건설, 시운전, 운전, 사고관리, 해체, 비상대응
한편, 국제원자력기구(IAEA)가 발간한 안전기준문서 <원전의 안전: 설계(SSR-2/1, 2012)>및 <원전의 안전: 운전(SSR-2/2, 2011)>은 원전의 안전설계와 안전운전을 위한 제반 안전기준을 명시하고 있다. 이들 안전기준은 <INSAG-12>에서 제시한 내용을 토대로 하여 수립된 것으로 다음과 같은 주요 내용을 담고 있다.
한편, 가동중인 원전에 대하여 매 10년 주기로 원자력발전소의 안전성을 종합적으로 평가하는 주기적안전성평가(PSR, Periodic Safety Review)를 도입하고 원전 운영국에 이 제도를 시행하도록 권고했다. 대한민국은 IAEA의 권고를 받아들여, 2001년 1월 원자력법을 개정하여 주기적 안전성평가를 수행해 오고 있다.
주기적 안전성평가
주기적 안전성평가에서 다루는 주요 평가 항목은 최초 12개 항목이었으나 2014년 2개 항목이 추가되어 1)원자로시설의 설계에 관한 사항, 2)안전에 중요한 구조물·계통 및 기기의 실제 상태에 관한 사항, 3)결정론적 안전성분석에 관한 사항, 4)확률론적 안전성평가에 관한 사항, 5)위해도 분석에 관한 사항, 6)기기검증에 관한 사항, 7)경년열화(經年劣化: 시간경과 또는 사용에 따라 원자력발전소의 계통·구조물·기기의 손상을 가져올 물리적 또는 화학적 과정을 말한다)에 관한 사항, 8)안전성능에 관한 사항 9)원자력발전소 운전경험 및 연구결과의 활용에 관한 사항, 10)운영 및 보수(補修) 등의 절차서에 관한 사항, 11)조직·관리체계 및 안전문화에 관한 사항, 12) 인적 요소(원자로의 운전에 필요한 구성인원 등의 상태에 관한 사항을 포함한다)에 관한 사항 13) <원자력시설 등의 방호 및 방사능 방재 대책법> 제20조에 따른 방사선비상계획에 관한 사항, 14) 방사선환경영향에 관한 사항 등 14개 항목에 대한 평가를 수행하고 있다.
안전설비 설계원칙
다중성: 발생할 수 있는 기기 또는 계통의 고장에 대비하여 안전기능의 수행에 필요한 수량보다 여유있게 기기 또는 계통을 설치하는 것이다.
다양성: 기기나 계통이 다중성을 확보하더라도 작동 원리가 같을 경우 공통원인고장에 의하여 한꺼번에 작동이 되지 않을 수 있으므로, 작동원리가 서로 다른 기기나 계통을 설치하는 것이다. 예로써 보조급수계통을 전동기구동 급수펌프와 증기터빈구동 급수펌프로 설치하여, 전원이 상실되더라도 작동원리가 다른 증기터빈구동 급수펌프는 그 기능을 수행할 수 있도록 설계하는 것이다. 또한 원자로정지를 위하여 원자로 제어봉의 삽입과 이와 작동 원리가 전혀 다른 중성자흡수체인 독물질의 주입을 위한 설계를 하는 것이다.
독립성: 어느 한 기기 또는 계통의 사고가 동일한 기능을 수행하는 다른 계통 또는 기기에 영향을 미치지 않도록 물리적, 전기적으로 상호 분리되도록 설계하는 것이다. 화재, 홍수 등의 외적 요인으로 동시에 기능을 상실하는 가능성을 방지하기 위하여, 설비 간에 충분한 거리를 유지하거나 차단벽을 설치하여 물리적으로 격리하는 것이다. 또 다중성 개념으로 설치된 계통이나 기기에 각각 별개의 독립된 전원을 공급하도록 설계한다.
고장-안전성: 계통이나 기기가 고장이나 전원상실 등으로 그 기능을 상실했을 경우 외부에서 특별한 조치가 없어도 자동적으로 안전에 유리한 상태로 작동되게 설계하는 것이다.
연동장치: 일부 계통과 기기는 미리 설정한 조건에서만 작동하도록 하여 운전원의 오작동 등에 의한 사고의 발생가능성을 배제할 수 있도록 설계하는 것이다.
안전성 기술 - 심층방어 또는 다중방어[5]
심층방어(defence in depth)는 원자력시설의 안전성을 확보하기 위한 기본 개념으로서, 원자력 시설의 사고나 재해로부터 대중 및 환경을 보호하기 위하여 여러 단계의 다중화된 방어수단을 구비하는 전략을 의미한다.
심층방어는 원래 군사용어로, 최전선에서 후방에 이르기까지 다단계의 방비 대책을 마련한다는 의미이며, '다중방어' 또는 '다층방어'라고도 한다. 어떤 단일한 인적오류 또는 기계적 고장이 발생하더라도 발전소와 방벽 자체에 대한 손상을 방지함으로써 방벽들을 보호하고, 다중고장에 의한 사고 발생 가능성을 극히 낮추게 된다. 일반적으로 다중방벽은 5개의 물리적 방벽을, 다단계 방호는 5단계 방호전략을 지칭한다.
다중방벽: 심층방어를 구현하기 위해 방사성 물질이 외부 환경으로 유출되는 것을 방지할 수 있도록 여러 겹의 물리적 방벽을 설치한 것을 의미한다. 이러한 방벽의 구체적인 설계는 방사성 물질의 특성이나 정상운전에서 벗어나 방벽을 손상시킬 수 있는 개별 원자로의 특성에 따라 달라진다. 일반적으로 경수형 원전에서 물리적 다중방벽은 핵연료 펠릿(제1방벽), 핵연료피복재(제2방벽), 원자로냉각재 압력경계(제3방벽), 격납건물 내부철판(제4방벽), 격납건물(제5방벽)로 구성된다. 제한구역으로 설정된 지역은 물리적인 방벽은 아니지만, 일반인의 거주가 허용되지 않는 의미에서 가상의 방벽 역할을 수행하는 것으로 생각할 수도 있다. 물리적 다중방벽은 연속적으로 방사성 물질을 제한하는 수단을 제공하며, 이들이 손상되지 않고 제 기능을 수행할 수 있을 경우에만 운전이 허용된다. 5개의 물리적 다중방벽들 중에서 어느 하나라도 건전성을 유지하면 방사성물질의 대량 외부유출은 발생하지 않는다. 그러나 아무리 많은 방벽을 갖추고 있더라도 방벽의 건전성을 절대적으로 보장할 수 없음을 인식하는 것이 중요하다. 따라서 물리적 방벽의 각각은 충분한 여유도를 가지고 보수적으로 설계하고, 방벽에 영향을 미칠 수 있는 발전소의 운전변수들을 제어 및 감시함으로써 그 건전성을 지속적으로 유지해야 한다.
다단계 방호: 발전소가 정상상태에서부터 심각한 사고 상황에 이르기까지 단계별 예방 및 완화를 위한 목표와 이를 달성하기 위한 수단을 제시하는, 심층방어의 구체적인 이행전략을 의미하는 개념이다. 다음표는 IAEA의 국제원자력안전그룹(INSAG)에서 제시한 다단계 방호의 개념, 5단계이다.
안전성 기술 - 공학적 안전설비
공학적 안전설비는 원자력 발전소에 사고가 발생할 때, 원자로를 정지시키고, 안전정지 상태를 유지하며, 방사성 물질이 외부 환경으로 유출되는 것을 방지하는 안전기능을 수행하는 설비이다. 기능에 따라 크게 비상노심냉각계통, 격납건물계통, 보조급수계통, 주제어실 거주성계통, 핵분열생성물 제거 및 제어계통으로 구분할 수 있다. 대한민국의 표준형 원전의 경우 비상노심냉각계통은 고압안전주입계통, 저압안전주입계통, 안전주입탱크, 재장전수탱크로 구성되며, 격납건물계통은 격납건물 살수계통, 가연성 기체제어계통, 격납건물 격리계통으로 구성된다. 보조급수계통은 전동기구동 및 터빈구동 펌프로 구성되며, 주제어실 거주성계통은 주제어실 비상공기조화계통 및 방사선감시계통으로 구성된다.
안전설비는 능동안전계통과 피동안전계통으로 구분되는데, 능동안전계통은 안전기능을 수행하기 위해 기계적 움직임을 수반하며, 피동안전계통은 기계적 움직임 없이 중력, 축적된 가스 압력, 자연대류 등의 자연법칙에 의해 안전기능을 수행한다. 제3세대 원전까지는 능동안전계통에 의해 원전의 안전성을 확보하였으나, 제3세대 이후 원전은 대부분 피동안전계통으로 원전의 안전성을 확보하고 있다.
안전성 기술 - 안전해석
안전해석은 원자력 발전소에서 일어날 수 있는 잠재적 재해를 평가하여 안전기준의 충족 여부를 확인하는 해석으로서, 안전해석코드를 이용한다. 안전해석은 크게 결정론적 안전해석과 확률론적 안전해석으로 구별되는데, 원전안전성평가는 결정론적 안전해석으로 수행되며, 확률론적 안전해석은 보조수단으로 활용된다. 안전해석코드 개발, 운용 및 검증 기술은 원전안전성평가의 핵심기술이다.
결정론적 안전해석: 원자력 발전소에서 발생할 수 있는 사고의 현상 및 진행 과정을 물리적으로 계산, 분석하여, 발전소의 설계가 안전하고 사고 시 허용기준을 만족하는지 평가하는 것이다. 사고는 그 결과의 심각성에 따라 3단계로 나뉘는데, 사고의 진행 현상을 분석하기 위하여 개발된 사고해석용 컴퓨터 코드를 이용하여, 원자로 및 관련계통의 복잡한 거동, 외부로 누출된 방사성물질에 의한 피폭량을 계산함으로써 결정할 수 있다.
확률론적 안전해석(PSA): 노심 및 격납건물 손상의 발생빈도를 추정하고, 그에 따라 누출되는 방사성 물질이 인근 주민의 건강에 미치는 영향을 정량적으로 평가하는 방법이다. 원래 미항공우주국(NASA)에서 우주선의 안전성평가를 위해 개발된 방법으로서, 1970년대 말 미국에서 최초로 원전의 새로운 안전성평가 기법으로 적용되었으며(WASH-1400 보고서), 1978년에 발생한 미국 스리마일(TMI) 원전사고를 정확히 예측하여 각광을 받기 시작하였다. 1980년대 이후 전 세계적으로 기존의 결정론적 안전해석을 보완하는 수단으로 광범위하게 활용되고 있다. 한국은 2001년 발표된 중대사고 정책에 따라, 모든 가동 및 건설원전에서 최소한 2단계 이상의 PSA를 수행한 바 있으며, 현재 PSA 수행의 단계 및 범위는 점점 확장되는 추세이다. 평가 범위는 3단계로 구분된다. 노심손상빈도를 평가하는 1단계, 노심손상 이후 격납건물 손상빈도를 평가하고, 격납건물 외부로의 방사성 물질 누출빈도를 평가하는 2단계, 누출된 방사성 물질이 인근 주민의 건강에 미치는 방사선학적 영향을 정량적으로 평가하는 3단계가 그것이다. 이 외에도 사고 발생 원인에 따라 내부사건과 외부사건, 사고 발생 시 원전의 출력에 따라 전출력과 정지‧저출력 PSA로 구분한다.
원자력 안전문화
원자력 안전문화란 용어는 1986년 체르노빌 원전사고의 원인에 대하여 국제원자력기구를 중심으로 국제적인 전문가들의 논의 과정에서 처음으로 등장했다. 1988년 국제원자력기구가 발간한 <원자력발전소 기본안전원칙(INSAG-3)>에서 안전문화를 가장 우선적인 안전원칙으로 제시하면서 공식화되었으며, 1991년 <안전문화(INSAG-4)>에서 안전문화의 개념을 정의하고, 효과적인 안전문화를 실천하기 위한 특성들을 제기하였다.
국제원자력기구는 <INSAG-4> 문서에서 안전문화를 ‘원자력 안전을 최우선으로 고려하는 조직과 개개인의 품성과 자세가 결집된 것’으로 정의하였으며, 안전문화가 조직체제와 각 경영계층의 책임, 조직체제에 속하는 각 계층 종사자의 태도의 두 가지 일반적인 요소로 구성되며, 조직체제와 책임은 정책차원과 관리자차원으로 구성된다고 제시하였다.
미국은 2011년 안전문화 정책성명을 공표하여, 안전문화를 ‘인간과 환경의 보호를 보장하기 위해 다른 경쟁적인 목표들보다 안전성을 우선적으로 강조하는 경영진과 각 개인들의 집단적 약속에 기인하는 핵심가치와 행위’로 정의했다. 그리고 경영층의 안전가치와 이행, 문제파악과 해결, 개인의 책임, 작업절차, 지속적 학습, 문제점을 제기하는 환경, 효과적 의사소통, 존중의 업무환경, 의문을 제기하는 자세 등 9가지를 바람직한 안전문화의 속성으로 제시하였다.
원전의 수명 및 계속운전 제도
원자력발전소의 수명은 운영허가기간 또는 설계수명기간으로 구분할 수 있다. 운영허가기간이란 원자력사업자가 규제기관으로부터 인‧허가 절차에 따라 운영을 허가 받은 기간을 의미한다. 설계수명기간은 발전소 설계에서 설정한 운영의 목표기간으로, 발전소의 안전과 성능 기준을 만족하면서 안전성 평가에 의하여 설정된 운전 가능한 최소한의 기간을 의미한다. 설계수명 기간은 발전소의 기기공급 기관과 설계기관의 기술과 경험에 의하여 결정되며, 실제 운전 가능한 기간은 정비와 보수, 관리, 고장 이력 등의 운영 경험과 환경 조건에 따라 달라질 수 있다. 계속운전이란 운영허가(설계종료)가 만료된 원자력 발전소의 안전성을 원자력발전법으로 규정한 기술 수준에 따라 평가하여 만족한 경우, 운영허가기간 만료일 이후에도 운전을 계속하는 것을 말한다.
원전의 일반적 설계수명은 경수로는 40년, 중수로는 30년이며, 최근 설계의 보완과 강화된 재료의 사용 등으로 60년 수명의 신형 원자로도 개발되었다. 미국 NRC(원자력규제위원회)는 설계수명은 최초 원전운영 허가기간으로 기술적인 문제가 아닌 원자력 시설의 경제성과 독과점규제 측면에서 설정된 기간으로 정의하고 있다. 예컨대, 미국의 원전 운영허가기간이 40년으로 제한된 것은 기술적 제한보다는 당초 투자자금의 회수 등을 고려하여 60년을 주장한 전력사업자의 주장과, 독점금지의 이유로 20년을 주장한 법무부 주장 간 타협의 산물이다라는 것이다. 1956년 세계 최초의 상업용 원자력 발전소인 영국 콜더홀 원전이나 미국 원전 첫 설계수명은 개발자가 제시한 기계수명을 근거로 작성되었으나, 원자력 기술의 발전과 경험 축적과 함께 원자로의 수명 연장이 안전에 무리 없다는 판단이 되자, 수명연장을 하였다. 콜더홀 경우는 50년까지 연장을 받았다.
대한민국은 2005년 9월 원자력법 시행령(제42조 2~5)과 동법 시행규칙(제19조의 2~3)을 개정하여 계속운전의 법적 근거를 처음으로 마련하였다. 원전사업자가 원전 계속운전 인·허가를 신청하기 위해서는 설계수명 기간 만료일을 평가 기준일로 하여, 평가기준일로부터 5년 내지 2년 이전에 평가보고서를 원자력안전위원회에 제출하여야 한다. 원자력안전위원회는 평가보고서를 제출받은 경우에 업무 위탁기관인 한국원자력안전기술원에서 18개월 이내에 심사하고, 그 결과를 원전 운영자에게 통보한다. 한국의 계속운전 안전성 평가 기준은 2005년 9월에 국제원자력기구(IAEA)가 제시한 국제적 안전기준(10년 주기 주기적안전성평가(PSR))을 토대로 도입되었다. IAEA는 가동원전의 안전수준 저하를 방지하고 일정 주기로 수행하는 제도를 마련하는 것이 효과적 방안이라는 전제 하에, 주기적안전성평가(PSR)제도에 관한 안전지침을 개발하여, 이를 원전 운영국이 적극 활용하도록 권장하였다. 따라서 2016년 현재, 안전성 평가 기준은 IAEA PSR 기준인 원자로시설의 설계사항 등 14개 분야 68개 항목을 평가하도록 되어 있고, 추가로 미국 NRC 운영허가 갱신기준인 주요기기 수명평가 및 방사선환경영향평가로 10개 분야 77개 항목을 법적 최소 항목으로 평가하도록 되어 있다.
미국의 경우, 법적으로 최초 운영허가 기간을 40년으로 명시하고 있으며, 최대 20년 단위로 계속운전을 허용하고 있다. 비록 PSR 결과에 근거한 운영허가 갱신제도는 아니지만, 원자력규제위원회(NRC)는 지속적으로 원전의 안전성을 모니터링하여 안전성에 의심이 가는 원전에 대해서는 운영허가 갱신 이후에도 가동을 정지시킬 수 있다.
영국, 프랑스, 스웨덴 등 유럽 국가들은 운영허가 기간에 대한 명확한 법적 규정이 없고, 투명하고 객관적인 PSR 결과에 근거하여 10년 주기로 계속운전을 허용하고 있다. PSR을 수행하는 대부분의 국가들은 설계수명을 법적으로 규정하지 않고 있으나 헝가리와 벨기에는 각각 30년, 40년으로 규정하고 있다.
일본은 후쿠시마 사고 이후, 법적 설계수명을 40년으로 규정하고, 40년 가동 이후 면허갱신 심사를 통해 20년 연장을 1회 허용하는 제도를 PSR제도와 병행하고 있다.
중수로형의 캐나다 초창기 원전은 보통 30년, 최근의 원전은 40년의 설계수명을 갖도록 설계되었으며 운영허가기간은 별도로 규정되지 않고 있다. 계속운전 인·허가 시 사업자의 25년 이상 계속운전 의향을 승인하고, 인·허가를 3~5년마다 갱신하는 제도를 채택하고 있다.
러시아의 경우, 원전 규제기관(Rostekhnadzor)이 운영허가 기간(설계수명)을 30년으로 규정하고 있으며 운영허가 갱신 기간은 노형별로 15~25년이다. 원전 사업자는 운영허가 갱신에 요구되는 사항을 준비하여 규제 기관에 제출하고, 규제 기관은 운영허가 갱신이 승인된 후에도 지속적으로 안전성 검사를 수행하며 만약 안전성에 문제가 있다고 판단되면 발전기 가동 정지 명령을 내릴 수 있다.
장단점
장점
온실 기체를 거의 배출하지 않으며, 그 때문에 지구 온난화에 미치는 영향이 적다. 저렴한 연료가격, 높은 연료비축을 자랑한다.
화력발전소, 태양광 발전소, 수력발전소 등 다른 발전소에 비해 발전 비용이 저렴하다. 다음 표는 OECD 주요 국가들의 2010년 감가상각비 10 %를 적용하였을 때 발전 비용을 나타낸 도표이다. 단위는 센트/kWh이다.
[8]
단점
원전사고의 경우 그 피해가 크기 때문에 충분히 주의를 기울인다 하더라도 사고에 대한 사회적 불안감이 큰 편이다. 또한 초기 건설비용이나, 운전 중 배출되는 여러가지 방사능 폐기물의 처리, 수명이 다한 원전에 대한 철거 비용, 쓰고난 열로 인해 주변 생태계가 영향을 받는 등의 문제가 지속적으로 제기되고 있다. 스리마일, 체르노빌, 후쿠시마 원전사고에서 지속적으로 증명되었듯이 원전사고의 경우 재앙의 위험성을 내포하고 있으며, 사고 발생 시 그 피해가 매우 치명적이다. 다행히 사고가 일어나지 않는다고 하더라도 수십만 년 동안 사라지지 않는 핵폐기물은 고스란히 미래세대에게 또 다른 짐으로 남겨지게 된다.[9]그리고 바다 수온을 상승한 주범일 가능성도 있다. 원자력은 열을 식히기 위해 바닷물을 사용하는데 바닷물을 사용 후 다시 바닷물에 다시 돌려보낸다. 냉각수가 있다고 해도 현재로서는 미지수다.
세계의 원자력 발전소 추세
1950년대에 연구원들은 2000년까지 적어도 1,800개의 원자력 발전소가 건설되고, 전 세계 21 %의 상업용 에너지를 충당하고 전 세계 대부분의 전력을 생산할 것으로 예측하였다. 하지만 지난 60년간 전 세계 정부의 감축안이 여러차례 적용되어 2조 달러의 정도의 예산이 투자되었고, 2007년 기준 30여개국에 439개의 원자로가 전 세계 30여개국에서 전 세계 6%의 상업용 에너지와 16%의 전력을 생산하고 있다. 특히 프랑스에서는 안전설비 아래 74.79 %(2012년 총량 404900.00 GWh)의 전력이 원자력 발전으로 생산되고 있으며, 대한민국에서는 30.37 %(2012년 총량 143547.87 GWh)의 전력이 원자력 발전으로 생산되고 있다.[10] [11]
세계원자력협회(WNA, World Nuclear Association)와 국제원자력기구(IAEA)에 따르면, 2017년 1월 현재, 전 세계 30개국에서 가동 중인 원전은 449기로 총 발전용량은 약 392GWe이고 건설 중인 원전이 60기, 향후 건설 계획 중인 원전이 164기이다.[12]
또 국제에너지기구(IEA, International Energy Agency)의 세계에너지전망(World Energy Outlook)에 의하면, 2014년 기준 379GW인 원자력발전 용량은 2040년까지 60% 가량 증가해, 624GW에 이를 전망이다.[13] 또한 세계원자력협회에 의하면 2030년까지 266기의 원전 건설과 1조 2,000억 달러의 투자가 전망되며, 이 중 아시아 투자가 절반가량인 7810억 달러를 차지할 것으로 보인다.[14]
<연령대별 세계 원전 운영 현황(2016년 12월 기준)>[15]
<30년 이상 운영 중인 세계 원전 현황(2016년 12월 기준)>[15]
다음은 세계의 주요 원전 수출국들이다.
미국
1950년대부터 원전 시장에서 독점적 지위를 유지하였다. 미국의 웨스팅하우스는 서방 세계 최초로 1957년 펜실베니아 쉬핑포트에 건설된 상업용 가압경수로를 설계한 이후, 세계에서 운전 중인 원전을 가장 많이 공급러한 회사로 전 세계의 가동 원자력발전소 중 50% 이상을 공급했다. 제너럴 일렉트릭은 비등경수로를 개발하여 미국 내에 건설함은 물론 일본을 비롯한 여러 나라에 수출하였다. 스리마일 섬(Three Mile Island) 원전 사고가 발생하자 원자력산업이 침체되었으나, 2000년대 중반에 미국 내에서 원전 건설이 재개되었으며, 제3세대 원자로인 AP1000 4기를 중국에 수출하여 현재 건설이 진행되고 있다.
프랑스
1970년대부터 정부의 주도 하에 미국의 기술을 도입하여 꾸준히 원전을 건설한 결과 원자력과 관련된 원천 기술, 건설, 수출 능력을 두루 갖추고 있다. 특히, 세계 최대 기업인 아레바 그룹은 가압경수로 부문에서 미국의 웨스팅하우스와 함께 세계 시장을 양분하고 있다. 프랑스는 한국, 영국, 브라질, 남아공에 원전을 수출하였으며, 현재는 아레바가 개발한 제3세대 원자로인 EPR을 중국 및 핀란드에 수출하여 건설이 진행 중이다.
러시아
1954년 6월 오브닌스크 상업용 원전을 가동하여 세계 최초로 원자력 발전을 시작하였고, 자체 기술을 개발하여 주변 사회주의 국가에 원자로를 건설하거나 기술을 전수하여 왔다. 원전 건설·수출기업인 로사톰은 가압경수로(VVER 1000)를 자체 개발하였으며 이란, 불가리아, 중국 및 베트남, 핀란드등에 이를 수출하였다.
캐나다
1960년대 초반 천연우라늄을 사용하는 캔두(CANDU) 원자로를 독자기술로 개발하여, 자국에 22개의 원자력발전소를 건설하여 이중 19기를 현재 운영하고 있으며, 인도, 중국 등의 신흥국 시장에 활발히 수출하고 있다.
대한민국의 원자력발전소
대한민국에서는 1978년 4월 최초의 상업 원자력 발전소인 고리원자력발전소 1호기가 상업용 발전을 시작하였으며, 2017년 현재 24기의 운영중 있고, 5기가 건설 중이며, 전체 전력의 약 30%를 공급하고 있다. 국내 원전산업의 초기단계에는 외국 전문회사의 주도하에 원전사업을 추진했으나, 1980년대 초 원전 주요기기와 핵연료기술 국산화를 달성하였고, 한빛 3·4호기 건설을 통해 원전건설기술 자립을 달성하였다. 그리고 이를 바탕으로 2009년에는 UAE에 상용원전 APR1400을 수출하였다. 2015년 정부는 부산, 울산 지역 주민들의 고리1호기폐쇄범시민운동에 고리 1호기 영구정지를 발표했다. 하지만 2016년 신고리 5,6호기 건설을 발표했다. [16]
같이 보기
국제 원자력 사고 등급(INES)
노심 용해
차이나 신드롬
각주
외부 링크
분류:러시아의 발명품
| https://ko.wikipedia.org/wiki/%EC%9B%90%EC%9E%90%EB%A0%A5%20%EB%B0%9C%EC%A0%84%EC%86%8C |
{
"plaintext_start_byte": [
3,
2168,
3025,
5177,
6273,
7815,
8856,
9956,
10969,
12547,
14371,
16172,
17586,
19575,
21185,
22891,
23830,
25679,
26312,
27035,
28454,
29419,
31079,
31653,
31944,
32088
],
"plaintext_end_byte": [
2138,
3024,
5176,
6208,
7814,
8855,
9955,
10946,
12515,
14370,
16171,
17585,
19574,
21117,
22868,
23771,
25589,
26277,
27034,
28453,
29418,
31043,
31629,
31836,
32087,
32153
]
} | คอเคลียเต็มไปด้วยน้ำที่เรียกว่าอะไร? | หูชั้นในรูปหอยโข่ง | thai | {
"passage_answer_candidate_index": [
8
],
"minimal_answers_start_byte": [
11063
],
"minimal_answers_end_byte": [
11072
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
หูชั้นในรูปหอยโข่ง[1]
หรือ อวัยวะรูปหอยโข่ง[1]
หรือ คอเคลีย
(English: cochlea, /ˈkɒk.liə/, จาก Ancient Greek: κοχλίας , kōhlias, แปลว่า หมุนเป็นวงก้นหอย หรือเปลือกหอยทาก) เป็นอวัยวะรับเสียงในหูชั้นใน
เป็นช่องกลวงมีรูปร่างเป็นก้นหอยโข่งอยู่ในกระดูกห้องหูชั้นใน (bony labyrinth) โดยในมนุษย์จะหมุน 2.5 ครั้งรอบ ๆ แกนที่เรียกว่า modiolus[2][3]
และมีเส้นผ่าศูนย์กลางประมาณ 9 มม.[4]
โครงสร้างหลักของคอเคลียก็คืออวัยวะของคอร์ติ ซึ่งเป็นอวัยวะรับประสาทสัมผัสคือการได้ยินเสียง และอยู่กระจายไปตามผนังที่กั้นโพรงสองโพรงที่เต็มไปด้วยน้ำ ซึ่งวิ่งไปตามก้นหอยที่ค่อย ๆ แคบลง
ส่วนคำว่าคอเคลียมาจากคำในภาษาละตินซึ่งแปลได้ว่า "เปลือกหอยทาก" และก็มาจากคำภาษากรีกว่า κοχλίας, kokhlias ซึ่งแปลว่า หอยทาก หรือเกลียว ซึ่งมาจากคำว่า κόχλος, kokhlos ซึ่งแปลว่า เปลือกวนเป็นก้นหอย[5]
คอเคลียในสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนมทั้งหมดยกเว้นของโมโนทรีมมีรูปร่างเช่นนี้
โครงสร้าง
คอเคลียเป็นโพรงกระดูกรูปกรวยวนเป็นรูปก้นหอย
ที่คลื่นความดันเสียงจะแพร่กระจายไปจากส่วนฐาน (base) ใกล้หูชั้นกลางที่ช่องรูปไข่ (oval window) ไปยังส่วนยอด (apex) คือที่ส่วนปลายหรือตรงกลางของก้นหอย
โพรงที่วนเป็นก้นหอยเรียกว่า Rosenthal's canal หรือ spiral canal of the cochlea โดยยาวประมาณ 30มม. และหมุน 2¾ รอบ ๆ แกนที่เรียกว่า modiolus
โดยมีโครงสร้างรวมทั้ง
มีโพรง 3 โพรงที่เรียกว่า scalae
vestibular duct หรือ scala vestibuli บรรจุน้ำที่เรียกว่า perilymph และอยู่ด้านบนของโพรงกระดูกและชิดกับช่องรูปไข่
tympanic duct หรือ scala tympani บรรจุ perilymph และอยู่ด้านล่างของโพรงกระดูกและไปสุดที่ช่องรูปกลม (round window)
cochlear duct/partition หรือ scala media บรรจุน้ำที่เรียกว่า endolymph เป็นเขตที่ไอออนโพแทสเซียมมีความเข้มข้นสูง และที่มัดขนที่เรียกว่า stereocilia ของเซลล์ขน (hair cell) จะจุ่มอยู่
helicotrema เป็นจุดที่ tympanic duct และ vestibular duct มาบรรจบกันที่ยอด (apex) ของคอเคลีย
เยื่อ Reissner's membrane ซึ่งแยก vestibular duct จาก cochlear duct
เยื่อฐาน (basilar membrane) เป็นโครงสร้างหลักที่แยก cochlear duct จาก tympanic duct และเป็นตัวกำหนดคุณสมบัติกระจายคลื่นกลของส่วนกั้นคอเคลีย
อวัยวะของคอร์ติ เป็นเยื่อบุผิวรับเสียง (sensory epithelium) คือชั้นของเซลล์ที่บุเยื่อฐาน เป็นเซลล์ขนที่ได้พลังงานจากความต่างศักย์ของ perilymph และ endolymph
เซลล์ขน (hair cell) ซึ่งเป็นเซลล์รับเสียงในอวัยวะของคอร์ติ โดยมียอดคล้ายขนที่เรียกว่า stereocilia
คอเคลียเป็นส่วนของหูชั้นในที่มีรูปเหมือนกับเปลือกหอยทาก
เป็นตัวรับเสียงโดยความสั่นสะเทือน ซึ่งเป็นเหตุให้ stereocilia เคลื่อน
ที่ถ่ายโอนแรงสั่นสะเทือนเป็นอิมพัลส์ประสาทซึ่งส่งไปยังสมองเพื่อตีความ
มีโพรง 3 โพรงที่เต็มไปด้วยน้ำ โดยโพรงที่ 3 มีอวัยวะของคอร์ติ ซึ่งสามารถตรวจจับแรงดันแล้วส่งสัญญาณตามประสาทหู (auditory nerve) ไปยังสมอง
ส่วนโพรงสองโพรงนั้นเรียกว่า vestibular canal และ tympanic canal
รายละเอียดทางกายวิภาค
คอเคลียซึ่งกลวงมีผนังทำด้วยกระดูก และมีเยื่อบุผิว (epithelium) บาง ๆ
ท่อที่ขดเป็นก้นหอยนี้จะแบ่งตามยาวเกือบทั้งหมดด้วยเยื่อแบ่งส่วน
ส่วนนอกสองช่อง (หรือที่เรียกว่า duct หรือ scalae) เกิดจากเยื่อแบ่งส่วนนี้
น้ำที่ตอนแรกวิ่งเข้าจากช่องรูปไข่ จะวิ่งย้อนกลับที่ยอดของท่อก้นหอย เป็นจุดที่เปลี่ยนจาก vestibular duct เป็น tympanic duct
และเป็นจุดที่เรียกว่า helicotrema
เพราะท่อทั้งสองเชื่อมกันที่จุดนี้ น้ำที่ดันเข้าไปใน vestibular duct จะวิ่งย้อนทางกลับมาใน tympanic duct จนกระทั่งไปดันออกที่ช่องรูปกลม
ซึ่งเป็นจุดระบายความดัน เพราะว่า น้ำที่ว่านี้เกือบบีบอัดไม่ได้และผนังของคอเคลียก็เป็นกระดูกแข็ง
เยื่อแบ่งส่วนที่วิ่งไปตามคอเคลียเกือบทั้งหมดตัวเองก็เป็นท่อเต็มไปด้วยน้ำ ซึ่งเรียกว่าเป็นท่อที่ 3
เป็นช่องตรงกลางที่เรียกว่า cochlear duct
น้ำในช่องที่เรียกว่า endolymph แม้จะมีอิเล็กโทรไลต์และโปรตีนเช่นกัน แต่ก็สมบูรณ์ไปด้วยไอออนโพแทสเซียม ซึ่งทำให้มีความต่างทางเคมีจากน้ำในอีก 2 ช่องที่เรียกว่า perilymph
ซึ่งสมบูรณ์ไปด้วยไอออนโซเดียม ความต่างกันนี้ทำให้เกิดความต่างศักย์ไฟฟ้า
เซลล์ขนจะตั้งเรียงเป็น 4 แถวอยู่ในอวัยวะของคอร์ติตลอดความยาวของคอเคลีย
3 แถวเป็นเซลล์ขนด้านนอก (outer hair cell, OHC) และ 1 แถวเป็นเซลล์ขนด้านใน (inner hair cell, IHC)
IHC เป็นตัวส่งสัญญาณออกหลักของคอเคลีย
เทียบกับ OHC ที่โดยหลักได้รับสัญญาณจากสมอง ซึ่งมีอิทธิพลต่อการเคลื่อนที่ได้ (motility) ของเซลล์ โดยทำหน้าที่เป็น pre-amplifier (ตัวขยายเสียง) เชิงกลของคอเคลีย
สัญญาณที่ส่งไปยัง OHC มาจากเขต olivary body ในสมอง โดยส่งผ่านมัดใยประสาท medial olivocochlear bundle
ตัว cochlear duct ซับซ้อนแทบเท่ากับหูเอง
โดยล้อมปิดสามด้านด้วยเยื่อฐาน (basilar membrane), stria vascularis, และ Reissner's membrane
ส่วน Stria vascularis จะเป็นจุดที่สมบูรณ์ไปด้วยหลอดเลือดฝอยและเซลล์หลั่ง (secretory cell)
ส่วน Reissner's membrane เป็นเยื่อบาง ๆ ที่แยก endolymph จาก perilymph
และเยื่อฐาน เป็นส่วนที่ค่อนข้างแข็ง เป็นที่อยู่ของประสาทสัมผัสในการได้ยิน คือ อวัยวะของคอร์ติ และเป็นตัวกำหนดคุณสมบัติการกระจายคลื่นกลของคอเคลีย
หน้าที่
คอเคลียเต็มไปด้วยน้ำที่เรียกว่า perilymph ซึ่งไหวไปตามแรงสั่นสะเทือนที่มาจากหูชั้นกลางโดยผ่านช่องรูปไข่ (oval window)
เมื่อน้ำในคอเคลียเคลื่อน ท่อคอเคลีย (cochlear duct/partition) ที่อยู่ตรงกลาง ซึ่งรวมเยื่อฐาน (basilar membrane) และอวัยวะของคอร์ติ ก็จะเคลื่อนด้วย
เซลล์ขนนับเป็นพัน ๆ จะรับรู้การเคลื่อนไหวผ่าน stereocilia แล้วแปลงแรงกลนั้นให้เป็นสัญญาณไฟฟ้าที่สื่อประสาทไปยังเซลล์ประสาทเป็นพัน ๆ
โดยตัวนิวรอนที่ต่อกับเซลล์ขนจะเป็นตัวแปลงสัญญาณจากเซลล์ขนให้เป็นอิมพัลส์ไฟฟ้าประสาทที่เรียกว่า ศักยะงาน (action potential) ซึ่งส่งทางเส้นประสาท auditory nerve ไปยังโครงสร้างในก้านสมองเพื่อการประมวลผลต่อ ๆ ไป
รายละเอียด
กระดูกเล็ก (ossicle) ที่เรียกว่ากระดูกโกลน เป็นตัวส่งแรงสั่นสะเทือนจากหูชั้นกลางไปยัง fenestra ovalis หรือช่องรูปไข่ ที่นอกคอเคลีย ซึ่งก็จะสั่นน้ำ perilymph ใน vestibular duct คือช่องบนของคอเคลีย
กระดูกเล็ก 3 ชิ้นในหูชั้นกลางจำเป็นเพื่อส่งคลื่นเสียงเข้าไปในคอเคลีย เพราะว่าคอเคลียเป็นระบบน้ำ-เยื่อ และมันจำเป็นต้องได้แรงดันเพื่อส่งเสียงเป็นคลื่นน้ำสูงกว่าที่เป็นคลื่นอากาศโดยต่างจากหูชั้นนอก
เป็นความดันที่เพิ่มขึ้นอาศัยอัตราพื้นที่ของแก้วหู (tympanic membrane) ต่อของเยื่อช่องรูปไข่ เป็นประมาณ 20 เท่า
ของแรงดันคลื่นเสียงเดิมในอากาศ
กระบวนการเพิ่มความดันแบบนี้เป็นรูปแบบหนึ่งของ impedance matching คือเป็นการจับคู่คลื่นเสียงที่วิ่งไปในอากาศให้เข้ากับคลื่นเสียงที่วิ่งไปในระบบน้ำ-เยื่อ
ที่ฐานของคอเคลีย duct แต่ละท่อจะจบลงที่หน้าต่างเนื้อเยื่อที่ชนกับช่องหูชั้นกลาง โดย vestibular duct จะจบที่ช่องรูปไข่ ซึ่งชนกับฐานของกระดูกโกลน
เป็นจุดที่ฐานกระดูกโกลนจะสั่นเพื่อส่งแรงดันต่อจากกระดูกเล็ก
และคลื่นใน perilymph ก็จะวิ่งไปจากฐานกระดูกโกลนไปทาง helicotrema
แต่เพราะคลื่นน้ำจะขยับส่วนกั้นคอเคลีย (cochlear duct/partition) ขึ้นและลง ดังนั้นคลื่นที่วิ่งไปใน vestibular duct จะมีส่วนเท่ากับคลื่นที่วิ่งกลับมาใน tympanic duct ซึ่งไปสุดที่เยื่อช่องรูปกลม ทำให้เยื่อนูนออกไปทางหูชั้นกลาง เทียบกับขณะที่เมื่อเสียงวิ่งผ่านเยื่อช่องรูปไข่ ซึ่งเยื่อจะนูนเข้ามาในคอเคลีย
perilymph ใน vestibular duct และ endolymph ใน cochlear duct จะมีพฤติกรรมเหมือนกับอยู่เป็นท่อเดียวกัน โดยแยกจากกันด้วยเยื่อ Reissner's membrane บาง ๆ เท่านั้น
แรงสะเทือนของ endolymph ใน cochlear duct จะเคลื่อนเยื่อฐานมากที่สุด (peak) ตามระยะจากช่องรูปไข่ขึ้นอยู่กับความถี่เสียง
OHC จะทำให้อวัยวะของคอร์ติสั่นซึ่งขยายแรงดันนี้เพิ่มขึ้น
IHC ก็จะเคลื่อนไปตามแรงสั่นที่วิ่งไปตามน้ำ และเกิดการลดขั้ว (depolarization) เมื่อไอออน K+ วิ่งเข้าช่องไอออนที่เปิดปิดโดยใยเชื่อมปลายขน (tip-link) และส่งสัญญาณโดยใช้สารสื่อประสาทไปยังนิวรอนของ spiral ganglion (ซึ่งเป็นตัวส่งสัญญาณต่อไปยังสมอง)
เซลล์ขนในอวัยวะของคอร์ติจะเลือกตัวกระตุ้นเป็นความถี่เสียงโดยเฉพาะขึ้นอยู่กับตำแหน่งในคอเคลีย ตามความอ่อนแข็งของ basilar membrane[6]
ความอ่อนแข็งจะขึ้นอยู่กับปัจจัยหลายอย่างรวมทั้งความหนาและความกว้างของเยื่อ[7]
ซึ่งแข็งสุดตรงจุดใกล้กับช่องรูปไข่ที่สุด ที่กระดูกโกลนส่งความสั่นสะเทือนต่อมาจากแก้วหู
เนื่องจากแข็งที่สุดตรงนี้ จึงจะขยับเหตุความสั่นความถี่สูงเท่านั้น โดยเซลล์ขนจะขยับไปพร้อม ๆ กัน
คลื่นยิ่งเดินเข้าไปทางยอดของคอเคลียคือจุด helicotrema เท่าไร เยื่อฐานก็จะแข็งน้อยลงเท่านั้น
ดังนั้น คลื่นความถี่ต่ำจะดำเนินยาวไปในท่อ ไปสู่จุดที่เยื่อแข็งน้อยกว่าและขยับได้ง่ายกว่า
คือ เมื่อคลื่นดำเนินไปสู่ที่อ่อนกว่า คลื่นจะวิ่งช้าลงโดยตัวเยื่อจะตอบสนองต่อคลื่นได้ดีกว่า
นอกจากนั้นแล้ว ในสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนม คอเคลียจะม้วนเป็นก้นหอย ซึ่งมีหลักฐานว่าช่วยเพิ่มแรงสั่นสะเทือนความถี่ต่ำเมื่อคลื่นวิ่งไปตามก้นหอยที่เต็มไปด้วยน้ำ[8]
การเรียงลำดับความถี่การรู้เสียงตามปริภูมิเช่นนี้เรียกว่า tonotopy
สำหรับเสียงที่ต่ำมาก (คือน้อยกว่า 20Hz) คลื่นเสียงจะเดินไปจนสุดทาง คือตาม vestibular duct และ tympanic duct จนถึงจุด helicotrema
เสียงความถี่ต่ำขนาดนี้ยังทำให้อวัยวะคอร์ติทำงานบ้าง แต่ว่า ก็ต่ำเกินที่จะให้ทราบความถี่ที่ชัดเจน
ส่วนเสียงความถี่สูงจะไม่เดินไปถึงจุด helicotrema เนื่องจากการเรียงลำดับความแข็งแบบ tonotopy
การเคลื่อนไหวของเยื่อฐานแบบรุนแรงเนื่องจากเสียงดังอาจทำให้เซลล์ขนตาย
นี่เป็นเหตุสามัญของการเสียการได้ยิน และเป็นเหตุที่ทำให้คนที่ใช้ปืนหรือเครื่องจักรหนักบ่อยครั้งจำเป็นต้องใส่เครื่องป้องกันหู
การขยายเสียงของเซลล์ขน
คอเคลียไม่เพียงแต่ "รับ" เสียงเท่านั้น แต่ยัง "สร้าง" เสียงและขยายเสียงเมื่อยังมีสภาพดี
เมื่อสิ่งมีชีวิตจำเป็นต้องได้ยินเสียงที่ค่อย คอเคลียก็จะขยายเสียงโดยการถ่ายโอนความรู้สึกแบบผกผัน (reverse transduction) ที่เซลล์ขนด้านนอก (OHC) คือจะเปลี่ยนสัญญาณไฟฟ้ากลับไปเป็นแรงกลผ่านกระบวนการป้อนกลับเชิงบวก
โดย OHC มีมอเตอร์โปรตีนที่เรียกว่า prestin ที่เยื่อหุ้มเซลล์ด้านนอก
ซึ่งสร้างความเคลื่อนไหวโดยเพิ่มแรงดันคลื่นน้ำที่มากระทบกับเยื่อหุ้มเซลล์
การขยายเสียงแบบแอคทีฟเช่นนี้ สำคัญเพื่อให้ได้ยินเสียงค่อย ๆ
แต่ก็ทำให้เกิดปรากฏการณ์ที่คอเคลียสร้างคลื่นเสียงแล้วส่งย้อนกลับเข้ามาผ่านหูชั้นกลางที่เรียกว่า otoacoustic emissions
Otoacoustic emissions
Otoacoustic emission (การปล่อยเสียงจากหู) เป็นคลื่นเสียงที่เกิดจากคอเคลียผ่านช่องรูปไข่ (oval window) กระจายต่อไปผ่านหูชั้นกลางจนถึงแก้วหู ออกจากรูหูแล้วสามารถเก็บเสียงได้โดยไมโครโฟน
การปล่อยเสียงจากหูสำคัญในการทดสอบความพิการในการได้ยินบางอย่าง เพราะว่า เสียงนี้จะมีก็ต่อเมื่อคอเคลียอยู่ในสภาพดี และจะมีน้อยลงถ้า OHC ทำงานลดลง
บทบาทของแกบจังก์ชัน
โปรตีนแกบจังก์ชันชื่อว่า connexin ที่พบในคอเคลียมีบทบาทสำคัญต่อการได้ยิน[9]
การกลายพันธุ์ของยีนประเภทนี้มีหลักฐานว่า ทำให้เกิดหูหนวกทั้งแบบมีอาการและแบบไม่มีอาการ[10]
connexin บางอย่าง รวมทั้ง connexin 30 (GJB6) และ connexin 26 (GJB2) มีอย่างแพร่หลายในระบบแกบจังก์ชันสองอย่างที่พบเฉพาะในคอเคลีย
เครือข่าย epithelial-cell gap-junction จะจับคู่เซลล์บุผิวที่ไม่เกี่ยวกับการได้ยิน (non-sensory epithelial cell) ในขณะที่เครือข่าย connective-tissue gap-junction จะจับคู่เซลล์เนื้อเยื่อเกี่ยวพัน (connective-tissue cell)
โดยช่องแกบจังก์ชันจะทำหน้าที่เวียนไอออนโพแทสเซียมกลับไปที่ endolymph หลังจากการถ่ายโอนแรงกล (mechanotransduction) ของเซลล์ขน[11]
จุดที่สำคัญก็คือ แกบจังก์ชันจะพบในระหว่างเซลล์สนับสนุนของคอเคลีย แต่ไม่พบในเซลล์ขนที่ทำให้ได้ยิน[12]
ความสำคัญทางคลินิก
ชีวประดิษฐ์
ในปี 2552 วิศวกรที่สถาบันเทคโนโลยีแมสซาชูเซตส์สร้างวงจรเบ็ดเสร็จเป็นชิปที่สามารถวิเคราะห์ความถี่คลื่นวิทยุในพิสัยกว้างมาก แต่กินไฟเพียงแค่ส่วนหนึ่งของเทคโนโลยีที่มีอยู่แล้ว
โดยเลียนแบบการทำงานของคอเคลีย[13][14]
ในสัตว์อื่น
คอเคลียในรูปแบบก้นหอยพบแต่ในสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนมเท่านั้น
ส่วนในสัตว์ปีกและสัตว์มีกระดูกสันหลังอื่นที่ไม่ใช่สัตว์เลี้ยงลูกด้วยนม ช่องที่มีเซลล์รับเสียงบ่อยครั้งก็เรียกว่า คอเคลีย เหมือนกัน แม้ว่าจะไม่เป็นรูปหอยโข่ง
แต่จะเป็นท่อตันที่เรียกว่า cochlear duct
ความแตกต่างเช่นนี้ดูเหมือนจะวิวัฒนาการไปพร้อม ๆ กับความแตกต่างในการได้ยินพิสัยความถี่เสียงในระหว่างสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนมและสัตว์มีกระดูกสันหลังอื่น
คือสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนมมีพิสัยความถี่เสียงที่กว้างกว่า โดยส่วนหนึ่งก็เพราะกลไกโดยเฉพาะในการขยายเสียง (pre-amplification) ที่ใช้การสั่นตัวของเซลล์ขนด้านนอก (OHC)
แต่ความละเอียดของการได้ยินความถี่เสียงไม่ได้ดีกว่าในสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนมเทียบกับสัตว์เลื้อยคลานและสัตว์ปีกโดยมาก เพียงแต่ว่า ความถี่เสียงสูงสุดที่ได้ยินมักจะสูงกว่า และบางครั้งจะสูงกว่ามาก
สปีชีส์นกโดยมากไม่ได้ยินเสียงสูงกว่า 4-5kHz โดยนกแสกได้ยินเสียงสูงสุดอยู่ที่ ~11kHz
แต่มีสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนมน้ำบางชนิดที่ได้ยินเสียงสูงถึง 200kHz
การมีช่องที่ขดเป็นก้นหอย แทนที่จะเป็นช่องตรง ๆ สั้น ๆ ทำให้มีเนื้อที่สำหรับได้ยินเสียงในพิสัยความถี่ที่กว้างกว่า ทำให้สัตว์เลี้ยงลูกด้วยนมสามารถมีพฤติกรรมบางอย่างโดยเฉพาะเกี่ยวกับการได้ยินเสียง[15]
เพราะว่าการศึกษาคอเคลียควรจะเล็งที่ระดับเซลล์ขน การรู้ความแตกต่างทางกายวิภาคและสรีรภาพของเซลล์ขนในสปีชีส์ต่าง ๆ จึงสำคัญ
ตัวอย่างเช่น สัตว์ปีก แทนที่จะมีเซลล์ขนด้านนอกและเซลล์ขนด้านใน ก็มีเซลล์ขนยาว (tall hair cell) และเซลล์ขนสั้น (short hair cell)
และก็มีอะไรอย่างอื่น ๆ ที่ดูจะเหมือนกัน
ยกตัวอย่างเช่น เซลล์ขนยาวมีหน้าที่คล้ายกับเซลล์ขนด้านใน และเซลล์ขนสั้น เพราะไม่มีใยประสาทที่ส่งไปยังระบบประสาทกลาง ก็จึงเหมือนกับเซลล์ขนด้านนอก
และตัวอย่างความแตกต่างก็คือ เซลล์ขนทั้งหมดจะอยู่ติดกับ tectorial membrane ในสัตว์ปีก เทียบกับสัตว์เลี้ยงลูกด้วยนม ที่เซลล์ขนด้านนอกเท่านั้นที่อยู่ติดกับ tectorial membrane
รูปภาพอื่น ๆ
ภาพ MRI ของคอเคลียและหลอดครึ่งวงกลม
ห้องหูชั้นใน
กระดูกห้องหูชั้นใน (bony labyrinth) ด้านขวา มองจากด้านข้าง
ข้างในกระดูกห้องหูชั้นใน (bony labyrinth) ด้านขวา
คอเคลียและโพรงหู มองจากด้านบน
ผังคอเคลียผ่าตามยาว (longitudinal section)
ดูเพิ่ม
หู
หูชั้นใน
วิวัฒนาการของหูชั้นในรูปหอยโข่ง
ผลของเสียงต่อสุขภาพ
เชิงอรรถและอ้างอิง
แหล่งข้อมูลอื่น
at the US National Library of Medicine Medical Subject Headings (MeSH)
by R. Pujol, S. Blatrix, T. Pujol et al. at University of Montpellier
หมวดหมู่:ระบบการได้ยิน
| https://th.wikipedia.org/wiki/%E0%B8%AB%E0%B8%B9%E0%B8%8A%E0%B8%B1%E0%B9%89%E0%B8%99%E0%B9%83%E0%B8%99%E0%B8%A3%E0%B8%B9%E0%B8%9B%E0%B8%AB%E0%B8%AD%E0%B8%A2%E0%B9%82%E0%B8%82%E0%B9%88%E0%B8%87 |
{
"plaintext_start_byte": [
11,
1935,
3833,
5822,
7535,
10732,
11852,
12974,
14537,
17744,
19936,
21808,
22761,
24782,
27236,
29531,
30929,
32621,
33655,
34029,
34698,
35333,
37340,
38575,
38964,
39292,
39671,
40274,
40775,
41192,
41814,
42288,
44218,
45296,
45387,
46189,
46954,
47693,
49177,
49273
],
"plaintext_end_byte": [
1915,
3832,
5821,
7534,
10731,
11851,
12973,
14536,
17743,
19935,
21785,
22735,
24781,
27235,
29530,
30928,
32620,
33654,
33978,
34684,
35332,
37304,
38522,
38963,
39291,
39670,
40273,
40774,
41191,
41813,
42206,
44139,
45295,
45386,
46150,
46953,
47654,
49113,
49267,
49351
]
} | బెన్ ఆఫ్లెక్ ఎప్పుడు జన్మించాడు? | గుడ్ విల్ హంటింగ్ | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Main Page
గుడ్ విల్ హంటింగ్ అనేది గుస్ వాన్ సాంట్ దర్శకత్వం వహించిన ఒక 1997 అమెరికన్ డ్రామా చలన చిత్రం. ఈ చలన చిత్రంలో బెన్ ఆఫ్లెక్ మరియు రాబిన్ విలియమ్స్తో సహా, ప్రధాన పాత్ర విల్ హంటింగ్ వలె మ్యాట్ డామన్ నటించాడు, ఇతను MITలో ఒక కాపలాదారు వలె పనిచేసేందుకు దక్షిణ బోస్టన్ నుండి వచ్చిన ఒక విచిత్రవ్యక్తి తీవ్ర నేరస్థుడు. అఫ్లెక్ మరియు డామన్లు రచించిన మరియు నటించిన గుడ్ విల్ హంటింగ్ మంచి మరియు ఆర్థిక విజయాన్ని సొంతం చేసుకుంది, దీనితో ఆఫ్లెక్ మరియు డామన్లకు స్టార్డమ్ ప్రారంభమైంది. గుడ్ విల్ హంటింగ్ థియేటర్ల్లో ప్రదర్శించబడుతున్నప్పుడు ఆర్థికపరంగా దాని $1,000,000 బడ్జెట్కు రెండు వందల ఇరవై రెట్లు లాభాన్ని ఆర్జించింది మరియు తర్వాత తొమ్మిది అకాడమీ అవార్డ్ నామినేషన్లకు అర్హత సాధించింది, వాటిలో రెండింటినీ గెలుచుకుంది.
కథాంశం
విల్ హంటింగ్ (మ్యాట్ డామన్) మాసాచుసెట్స్ ఇన్స్టిట్యూట్ ఆఫ్ టెక్నాలజీ (MIT)లో ఒక కాపాలదారు మరియు ఒక మేధావి-స్థాయి తెలివితేటలు, ప్రతికల్పన స్మృతిని కలిగి ఉంటాడు మరియు గణితశాస్త్రంలో మంచి ప్రావీణాన్ని కలిగి ఉంటాడు. అయినప్పటికీ, అతను ఒక కాపలాదారు వలె పనిచేస్తూ, దిగువ దక్షిణ బోస్టన్ ప్రాంతంలో ఒక కొన్ని వస్తువుల గల ఇంటిలో ఒంటరిగా జీవిస్తూ ఉంటాడు, అతను కాలాన్ని అతని స్నేహితులు చుకీయ్ సులివ్యాన్ (బెన్ అఫ్లెక్), బిల్లే మెక్బ్రైడ్ (కోల్ హౌసెర్) మరియు మోర్గాన్ ఓమ్యాలే (కాసే అఫ్లెక్)లతో గడుపుతాడు. ఒక దూషించబడిన పెంపుడు బిడ్డ వలె అతను సుప్తచేతనంగా ఈ స్వీయ ద్వేషాన్ని అతని వృత్తి మరియు మనోద్వేగ జీవితాలు రెండింటిలోనూ స్వీయ-విద్రోహచర్యగా ప్రేరేపించడానికి మరియు మారేలా చేయడానికి అతని విచారాన్ని నిందిస్తూ ఉంటాడు.
మొదటి వారం తరగతుల్లో, విల్ ఒక స్వర్ణ పతక విజేత మరియు కాంబినేటరియాలిస్ట్ అయిన ప్రొఫెసర్ గెరాల్డ్ లాబీయు (స్టెల్లాన్ స్కార్స్గార్డ్) సెమిస్టర్ ముగింపునాటికీ అతని విద్యార్థులు ఒకరైనా పరిష్కారాన్ని కనిపెడతారని భావిస్తూ ఒక నల్లబల్లపై రాసిన సవాలు బీజగణిత రేఖాచిత్ర సిద్ధాంతం నుండి తీసుకున్న ఒక క్లిష్టమైన గ్రాడ్యుయేట్-స్థాయి సమస్యను పరిష్కరిస్తాడు. అది తక్షణమే మరియు రహస్యంగా పరిష్కరించబడినప్పుడు, లాబీయు మరింత క్లిష్టమైన సమస్యను ఉంచుతాడు-ఈ సమస్యను పరిష్కరించడానికి అతనికి మరియు అతని సహచరులకు రెండు సంవత్సరాలు కాలం పట్టింది. విల్ నల్లబోర్డుపై రాస్తున్నప్పుడు లాబీయు చూసి, అతన్ని నాశనం చేయాలనే ఉద్దేశ్యంతో విల్ను వెంబడిస్తాడు. అయితే, లాబీయు విల్ సరైన సమాధానాలు రాసాడని గుర్తిస్తాడు మరియు అతన్ని అనుసరించేందుకు నిర్ణయించుకుంటాడు.
అదే సమయంలో, విల్ తనని కొన్ని సంవత్సరాలక్రితం ప్రారంభ విద్యస్థాయిలో కొట్టిన కార్మిన్ స్కార్పాగిలా పేరు గల ఒక వేధించే వ్యక్తిపై ప్రతీకారం తీర్చుకోవాలని భావిస్తాడు మరియు తర్వాత ఆ దాడికి స్పందించిన ఒక పోలీసు అధికారిపై దాడి చేసిన తర్వాత జైలు పాలవుతాడు. విల్ అద్భుతమైన ప్రజ్ఞను కలిగి ఉన్నాడని గుర్తించిన లాబీయు విల్ యొక్క విచారణకు హజరవుతాడు మరియు అతని మధ్యవర్తిత్వం నెరపుతూ అతని ఒక అవకాశాన్ని ఇస్తాడు: జైలుకి వెళ్లు లేదా గణిత శాస్త్రాన్ని అభ్యసించడానికి మరియు ఒక చికిత్సకుడు సంప్రదించడానికి లాబీయు వ్యక్తిగత పర్యవేక్షణ క్రింద విడుదల కావచ్చని పేర్కొంటాడు. విల్ తనకు వైద్యం అవసరం లేదని విశ్వసించినప్పటికీ, రెండవ షరతుకు అంగీకరిస్తాడు.
విల్ మొదటి ఐదుగురు చికిత్సకులను లాబీయు చూస్తూ ఉండగా చులకనగా చూస్తాడు. నిరాశలో, లాంబీయు చివరిగా MITలో అతని రూమ్మేట్, ప్రస్తుతం విడిపోయిన పాత స్నేహితుడు, సీయాన్ మాగుయిర్ (రాబిన్ విలియమ్స్)ను పిలుస్తాడు, ఇతను కూడా విల్ వలె అదే ప్రాంతంలో పెరిగాడు. సీయాన్ అతని ముందు చికిత్సకులకు విరుద్ధంగా అతను విల్ను అర్థం చేసుకుంటాడు మరియు చివరికి అతను గత విల్ యొక్క విరోధి, భయానక ఆత్మరక్షణ పద్ధతులను తెలుసుకుంటాడు. సీయాన్ యొక్క భార్యను అవమానించిన తర్వాత, విల్ను అతను తోసివేసి, బెదిరించడం ద్వారా వారి మొట్టమొదటి సమావేశం విఫలమైనప్పటికీ, సీయాన్ ఆ పనిని విడిచిపెట్టడానికి అంగీకరించడు మరియు కొన్ని ఇటువంటి సమావేశాలు తర్వాత, విల్ చివరికి తన గురించి చెప్పడం ప్రారంభిస్తాడు. విల్ ప్రత్యేకంగా సీయాన్ ఒక బార్లో ఒక అపరిచిత మహిళను కలుసుకుని, సరదాగా గడపడానికి 1975 వరల్డ్ సిరీస్లో (కనుక కార్ల్టన్ ఫిస్క్యొక్క ప్రముఖ స్వదేశీ ఆట) గేమ్ 6లో బోస్టన్ రెడ్ సాక్స్ను చూసేందుకు అతని టిక్కెట్ను వదలుకున్న విషయాన్ని చెబుతున్నప్పుడు ఆశ్చర్యపడ్డాడు. ఈ విషయం విల్ గతంలో తాను హార్వర్డ్ విశ్వవిద్యాలయానికి సమీపంలోని ఒక బార్లో కలుసుకున్న ఒక యువ ఆంగ్ల మహిళ స్కైలర్ (మిన్నైయి డ్రైవర్)తో ఒక అనుబంధం కోసం ప్రయత్నించడానికి ప్రోత్సహిస్తుంది. ఆమె ఆ విశ్వవిద్యాలయంలో తన ఆఖరి విద్యా సంవత్సరంలో ఉంది-త్వరలోనే గ్రాడ్యుయేట్ కాబోతుంది.
అయితే వైద్యుడు-రోగి అనుబంధం గట్టిపడుతుంది. విల్ సీయాన్ను అతని జీవితంలో ఒక కఠినమైన, నిష్పాక్షిక సందర్భాన్ని ఎదుర్కొవాలని సవాలు విసురుతాడు. సీయాన్ రెండు సంవత్సరాల క్రితం క్యాన్సర్ కారణంగా అతని భార్య హాఠాత్తు మరణాన్ని జీర్ణించుకోలేకపోయాడు. కాలం గడుస్తున్నకొద్ది, సీయాన్ విల్పై అభిమానాన్ని పెంచుకుంటాడు మరియు లాంబీయు యొక్క మంచి అభిప్రాయాలు మినహా తాను అతనితో మరింత క్రూరంగా ప్రవర్తిస్తున్నట్లు భావిస్తున్నాడు.
అదే సమయంలో, విల్ లాంబీయు ఆలోచనలకు విసుగు చెందుతాడు మరియు చివరికి అతని కోసం లాంబీయు ఏర్పాటు చేసిన ఉద్యోగ ఇంటర్వ్యూలకు వెళ్లడానికి తిరస్కరిస్తాడు. ఆగ్రహించిన లాంబీయు సీయాన్ను ప్రతిఘటిస్తాడు మరియు విల్ అనుకోకుండా అతని భవిష్యత్తు గురించి వారు కోపంతో వాదించుకుంటున్నప్పుడు అక్కడ వస్తాడు. అతని గురించి వాళ్ల పోట్లాడుకోవటం చూసి విల్ చాలా బాధపడతాడు, అయితే సీయాన్ వారు మధ్య ఈ విరోధం ఎప్పుడు ఏర్పడిందని అతనితో చెబుతాడు.
స్కైలార్ తనతో పాటు కాలిఫోర్నియా రావాలని విల్ను కోరుతుంది, అక్కడ ఆమె స్టాన్ఫోర్డ్లో వైద్య కళాశాలను ప్రారంభించాలని భావిస్తుంది. విల్ ఆ ఆలోచనకు భయపడతాడు మరియు ఆమెను దూరంగా ఉంచుతాడు. విల్ అతని నిజ స్వరూపాన్ని మరియు అతను ఆమెను మోసగించినట్లు పేర్కొంటాడు. స్కైలార్ అతని గతాన్ని విని జాలిపడుతుంది మరియు అతన్ని ప్రేమిస్తున్నట్లు చెబుతుంది, కాని ఆమె మూర్ఛపోతుంది మరియు విల్ ఆ ఆవరణ నుండి వెళ్లిపోతాడు. అతను లాంబీయుకు చేస్తున్న పనిని "ఒక హాస్యాస్పదం" వలె పేర్కొంటూ విస్మరిస్తాడు. లాంబీయు ఆ పనిని విడిచిపెట్టవద్దని విల్ను అభ్యర్థిస్తాడు, కాని విల్ అతను పట్టించుకోకుండా వెళ్లిపోతాడు.
సీయాన్ విల్ అతని వ్యక్తిగత సంబంధాల్లో రాబోయే భావి వైఫల్యాన్ని ఎదుర్కొనేందుకు సమర్థవంతంగా ఉన్నాడు, అతను వారు ఓడిపోయేందుకు లేదా ఉద్దేశ్యపూర్వకంగా బెయిల్ ఇప్పించడానికి అనుమతించలేదు, దీని వలన అతను మనోద్వేగ బాధ నుండి దూరంగా ఉండగలడు. సీయాన్ జీవితంలో నువ్వు ఏమి కావాలనుకుంటున్నావని అడిగిన ప్రశ్నకు విల్ సరైన సమాధానం ఇవ్వకపోవడంతో, విసుగు చెందిన సీయాన్ అతనికి బయటికి వెళ్లమని చెబుతాడు. విల్ అతని ప్రాణ స్నేహితుడు చుకీయే (బెన్ అఫ్లెక్)తో అతను తన మిగిలిన జీవితంలో ఒక కార్మికుడు వలె జీవించదలిచినట్లు పేర్కొంటాడు. చుకీయే విల్తో తన మనస్సులోని మాట చెబుతాడు; అతను విల్ తన సామర్థ్యాన్ని వృధా చేయదలుచుకున్నావని అతన్ని అవమానిస్తాడు. అతను విల్తో ఇలా చెబుతాడు, "దానిని నీ గురించి చేయవద్దు. నాకోసం చేయి. 'ఎందుకంటే రేపు నేను మేల్కొంటాను మరియు అప్పుడు నాకు యాభై సంవత్సరాలు. అయిన అప్పటికీ నేను చేస్తూ ఉంటాను... [కాని] నువ్వు ఒక విజయం పొందే లాటరీ టిక్కెట్ను కలిగి ఉన్నాను... 'ఎందుకంటే నీకు ఉన్న ఆ సామర్థ్యం కోసం నేను ఏవైనా చేస్తాను... ఇరవై సంవత్సరాల్లో ఇప్పటికీ నువ్వు ఇక్కడే ఉన్నావంటే అది మనకు ఒక అవమానంగా భావించాలి. ఇక్కడే తిరుగుతూ నువ్వు నీ అమూల్యమైన సమయాన్ని వృధా చేసుకుంటున్నావు." అతను ఇంకా మాట్లాడుతూ, అతని కోరిక ఏమిటంటే ఒకరోజు ఉదయం విల్ యొక్క తలుపు తట్టి, అతను ఇంటిలో లేనట్లు తెలుసుకొని సంతోషించాలని చెప్పాడు.
మరొక వైద్య పరీక్షలో పాల్గొనప్పుడు, అతను మరియు సీయాన్లు ఇద్దరూ శారీరక బాల్య హింసకు గురైనట్లు తెలుసుకుంటారు. సీయాన్ అప్పుడు విల్ను సమీపించి, పలుసార్లు “ఇది నీ తప్పు”కాదని పేర్కొంటాడు. ప్రారంభంలో విల్ ఆ మాటకు ప్రతిస్పందనగా “అవును, నాకు తెలుసు” అని చెబుతాడు, కాని మళ్లీ మళ్లీ చెబుతున్నప్పుడు, కన్నీళ్లు పెట్టుకుంటాడు, అతన్ని సీయాన్ సమాధానపరుస్తాడు. చివరికి, అధిక స్వీయ-పర్యాలోచన తర్వాత, విల్ అతని స్వీయ అంతర్ చెడు ఆలోచనలకు బాధపడటం మానివేసి, అతని జీవితం గురించి ఆలోచించడం ప్రారంభిస్తాడు. కొంతకాలం తర్వాత, సీయాన్ ప్రపంచ పర్యటనకు ఒక సంవత్సరం కాలం సెలవు తీసుకుంటాడు మరియు లీంబీయు సందర్శించే సమయానికి అతను తన కార్యాలయంలో సామన్లు సర్దుతూ ఉంటాడు. ఇద్దరూ స్నేహితులుగా ఉండేందుకు నిర్ణయించుకుంటారు మరియు సీయాన్ లాటరీ టిక్కెట్లను కొనుగోలు చేసే ఆసక్తి గురించి వారు ఎప్పటిలాగానే గొడవ పడుతూ డ్రింక్ కోసం బయటికి వెళ్లతారు.
అతని స్నేహితులు తన 21వ పుట్టినరోజు సందర్భంగా మరమ్మత్తు చేసిన చొవ్రోలెట్ నోవాను బహుమతిగా ఇచ్చినప్పుడు, విల్ అతని లాభదాయక మరియు ప్రభుత్వ ఉద్యోగ అవకాశాలను కాదని స్కైలర్ కోసం వెళ్లడానికి నిర్ణయించుకుంటాడు. విల్ బయలుదేరిన తర్వాత, చుకీయే విల్ తలుపును తడతాడు మరియు ఎటువంటి ప్రతిస్పందన లేకపోడంతో, చుకీయే ఆనందిస్తాడు. విల్ సీన్ యొక్క స్వీయ చమత్కారాల్లో ఒకదానితో ఒక క్లుప్తంగా రాసిన పత్రాన్ని ఉంచుతాడు, దానిలో ఇలా ఉంటుంది, “ప్రొఫెసర్ ఆ ఉద్యోగం గురించి నిన్ను సంప్రదిస్తే, అతనికి నేను ఒక అమ్మాయి గురించి వెళ్లిపోతున్నాను, క్షమించమని అడిగానని చెప్పు.” సీయాన్ నవ్వుకుంటూ, తనతోతాను విల్ “తన దారిని ఎంచుకున్నాడ”ని అనుకుంటాడు. తర్వాత విల్ పెద్ద రహదారిపై పశ్చిమ దిశగా డ్రైవ్ చేసుకుంటూ వెళ్లిపోతాడు.
తారాగణం
విల్ హంటింగ్ వలె మ్యాట్ డామన్
సీయాన్ మాగుయిరే వలె రాబిన్ విలియమ్స్
చుకీయె సుల్లివ్యాన్ వలె బెన్ అఫ్లెక్
ప్రొఫె. గెరాల్డ్ లాంబీయు వలె స్టెల్లాన్ స్కార్స్గార్డ్
స్కైలార్ వలె మిన్నియే డ్రైవర్
మోర్గాన్ ఓమాలీ వలె కాసే అఫ్లెక్
బిల్లీ మెక్బ్రైడ్ వలె కోల్ హౌసెర్
టామ్ వలె జాన్ మిగ్టన్
Dr. హెన్రీ లిప్కిన్, మనస్తత్వ శాస్త్రవేత్త వలె జార్జ్ ప్లింప్టన్
నిర్మాణం
అఫ్లెక్ మరియు డామన్లు ఈ రచనను ఒక థ్రిల్లర్ వలె రాశారు: అద్భుతమైన తెలివితేటలుతో దక్షిణ బోస్టన్లోని మురికి వీదుల్లో సంతరించుతున్న ఒక యవకుడిని ఒక G-మ్యాన్ కావడానికి FBI లక్ష్యంగా చేసుకుంటుంది. క్యాజెల్ రాక్ ఎంటర్టైన్మెంట్ అధ్యక్షుడు రాబ్ రెయినెర్ తర్వాత కథలోని థ్రిల్లర్ అంశాన్ని తొలగించి, విల్ హంటింగ్ (డామన్) మరియు అతని మనస్తత్వ శాస్త్రవేత్త (విలియమ్స్) మధ్య అనుబంధంపై దృష్టి కేంద్రీకరించమని వారికి సూచించాడు. రెయినెర్ యొక్క అభ్యర్థన మేరకు, ప్రముఖ రచనకర్త విలియం గోల్డ్మాన్ రచనను చదివాడు మరియు చలన చిత్రం యొక్క ముగింపులో విల్ తన ప్రియురాలు స్కైలర్ కోసం కాలిఫోర్నియా వెళ్లడానికి నిర్ణయం తీసుకున్నట్లు మార్చమని సూచించాడు. గోల్డ్మ్యాన్ అతను గుడ్ విల్ హంటింగ్ రచించినట్లు మరియు దానికి రచనకర్తగా విస్తృతంగా వెలువడిన పుకార్లను కొట్టిపారేశాడు.[1]
క్యాజెల్ రాక్ రచనను $775,000 చెప్పగా, $675,000 ఖరీదు చేశాడు, అంటే అఫ్లెక్ మరియు డామన్లు నిర్మించి మరియు రచనాహక్కును కలిగి ఉన్నట్లయితే వారు అదనంగా $100,000 ఆర్జించి ఉండేవారు. అయితే, స్టూడియోలు ప్రధాన పాత్రల్లో అఫ్లెక్ మరియు డామన్లను తీసుకునే ఆలోచనను తిరస్కరించారు, పలువురు స్టూడియో ప్రతినిధులు ప్రధాన పాత్రల్లో బ్రాడ్ పిట్ మరియు లియానార్డ్ డికాప్రియోను ప్రతిపాదించారు. డామన్ మరియు అఫ్లెక్లు క్యాజల్ రాక్లో కలుసుకున్నప్పుడు, ఆ సమయంలో దర్శకుడు కీవెన్ స్మిత్ మాల్రాట్స్ కోసం అఫ్లెక్తో పనిచేస్తుండగా, అఫ్లెక్ మరియు డామన్లతో చేజింగ్ ఆమే లో పనిచేస్తున్నాడు.[2] అఫ్లెక్ మరియు డామన్లకు క్యాజెల్ రాక్తో సమస్యలను కలిగి ఉన్నారని తెలుసుకున్న స్మిత్ మరియు అతని నిర్మాత స్కాట్ మోసియెర్ మిరామిక్స్చే రచనను కొనుగోలు చేయించాడు, దీనితో చివరికి హంటింగ్ కోసం ఇద్దరు వ్యక్తులు కో-ఎగ్జిక్యూటివ్ నిర్మాతలుగా వ్యవహరించారు. రచనను నిర్మించేందుకు సిద్ధం చేశారు మరియు మిరామిక్స్ నిర్మాణ హక్కులను క్యాజెల్ రాక్ నుండి కొనుగోలు చేసింది.
క్యాజెల్ రాక్ నుండి హక్కులను కొనుగోలు చేసిన తర్వాత, మిరామిక్స్ చలన చిత్రాన్ని నిర్మించడానికి రంగం సిద్ధం చేసింది. పలువురు ప్రముఖ చలనచిత్ర దర్శకులు దీనిని దర్శకత్వం వహించబోతున్నట్లు వార్తలు వచ్చాయి, వారిలో మెల్ గిబ్సన్, మిచేల్ మాన్ మరియు స్టీవెన్ సోడెర్బెర్గ్లు ఉన్నారు. నిజానిక్ అఫ్లెక్ కెవిన్ స్మిత్ను అతనికి దర్శకత్వంలో ఆసక్తి ఉందాని అడిగాడు, దానికి స్మిత్ తిరస్కరించి, అతను తను రచించే వాటికి మాత్రమే దర్శకత్వం వహించగలనని మరియు తాను ఒక దృశ్యమాన దర్శకుడి కాదని పేర్కొంటూ, వారికి ఒక "మంచి దర్శకుడు" అవసరమని పేర్కొన్నాడు. తర్వాత అఫ్లెక్ మరియు డామన్లు ఈ బాధ్యతకు గుస్ వ్యాన్ సాంట్ను ఎంచుకున్నారు, డ్రగ్స్టోర్ కౌబాయ్ (1989) వంటి అతని మునుపటి చలన చిత్రాల్లో ప్రతిభ రూపుదిద్దుకుంటున్న రచనాకర్తలపై ఒక మంచి అభిప్రాయాన్ని కలిగేలా చేసింది. మిరామిక్స్ ఆ ప్రతిపాదనకు అంగీకరించింది మరియు ఆ చిత్రాన్ని దర్శకత్వం వహించడానికి వ్యాన్ సాంట్ను నియమించింది.
గుడ్ విల్ హంటింగ్ చలన చిత్రాన్ని 1996లో ఐదు నెలల్లో గ్రేటర్ బోస్టన్ ప్రాంతం మరియు టోరొంటోల్లో చిత్రీకరించారు. ఆ కథ బోస్టన్లో ప్రారంభమైనప్పటికీ, చలన చిత్రంలో ఎక్కువ భాగం MIT మరియు హార్వార్డ్లో ఉన్న టొరంటో విశ్వవిద్యాలయంతో టొరంటోలోని ప్రాంతాల్లో చిత్రీకరించబడింది మరియు తరగతిగది దృశ్యాలు మెక్లెనాన్ శారీరక ప్రయోగశాలలు (టొరంటో విశ్వవిద్యాలయంలోని) మరియు సెంట్రల్ టెక్నికల్ స్కూల్ల్లో చిత్రీకరించబడ్డాయి. దక్షిణ బోస్టన్లోని ("సౌతీయి") అంతర బార్ దృశ్యాలను "వుడ్డీస్ సెయింట్ టావెర్న్"లోని ప్రాంతాల్లో చిత్రీకరించారు.
తారాగణం రిహార్సల్ల్లో ముందుగా తయారవకుండా అక్కడికక్కడే కల్పించి ప్రదర్శించేవారు; రాబిన్ విలియమ్స్, బెన్ అఫ్లెక్ మరియు మిన్నేయి డ్రైవర్లు వారి పాత్రలకు తగిన న్యాయం చేశారు. చలనచిత్రంలో రాబిన్ విలియమ్ యొక్క చివరి వాక్యం, అలాగే చికిత్సా దృశ్యంలో అతను అతని పాత్ర యొక్క భార్యకు ఉండే స్వల్ప విపరీత ప్రవృత్తి గురించి మాట్లాడేటప్పుడు రెండు దృశ్యాల్లోనూ సహజంగా నటించాడు. చికిత్సా విధానం ప్రతిఒక్కరికీ ఆశ్చర్యం కలిగించింది. చలన చిత్రం యొక్క DVD వెర్షన్లోని డామన్ యొక్క వ్యాఖ్యానం ప్రకారం, కెమెరా యొక్క POV నిజానికి కొంచెం పైకి, క్రిందికి కదులుతున్నట్లు కనిపించడానికి కారణం "జానీ" (కెమెరామ్యాన్) ఎక్కువగా నవ్వడమే కారణమని పేర్కొన్నాడు.
DVD వ్యాఖ్యానంలో దర్శకుడు గుస్ వ్యాన్ సాంట్ మాట్లాడుతూ, ఈ చలన చిత్రం ఘన విజయాన్ని సాధిస్తుందని ముందే తెలుసుంటే, పొడవు ఎక్కువగా ఉన్న కారణంగా పూర్తిగా కత్తిరించిన సవరించిన దృశ్యాలు కొన్నింటినయినా అలాగే ఉంచేవాడనని పేర్కొన్నాడు. వీటిలో ఒకటి విల్ కూడా చర్చించడానికి ఇష్టం లేని విల్ యొక్క విపరీత మనస్తత్వంలోని కొన్ని అంశాలు గోప్యంగా ఉంచాలని స్కేలర్ చుకీయే సందర్శన వంటి దృశ్యాలు ఉన్నాయి.
ఈ చలన చిత్రాన్ని 1997లో మరణించిన కవి అలెన్ గిన్స్బెర్గ్ మరియు రచయిత విలియమ్స్ S. బరఫ్స్లకు జ్ఞాపకార్థం అంకితం చేయబడింది.
చిత్రీకరణ ప్రాంతం
ముగింపు దృశ్యాలలోను స్టాక్బ్రిడ్జ్లో మాసాచుసెట్స్ టర్న్పైక్కు పొడవున న్యూయార్క్ సరిహద్దు దిశగా పశ్చిమ దిశలో చిత్రీకరించారు. కారు ఒక వంతెన గుండా వెళుతుండగా, అక్కడ ఉన్న ఒక చిహ్నంలో "సెయింట్ స్టాక్బ్రిడ్జ్ దృగ్గోచర ప్రదేశం" అని ఉంటుంది.[3]
ఆదరణ
గుడ్ విల్ హంటింగ్ ప్రపంచవ్యాప్తంగా ఉన్న చలన చిత్ర విమర్శకుల నుండి మంచి ప్రశంసలను అందుకుంది: ఇది రోటెన్ టమోటాస్ వెబ్సైట్ చలనచిత్ర సమీక్ష కూర్పుకు ఒక 97% "తాజా" రేటింగ్ను పొందింది[4] మరియు పలు అవార్డులకు (క్రింద చూడండి) నామినేట్ చేయబడింది.
బాక్స్ ఆఫీస్ నివేదికల ప్రకారం, గుడ్ విల్ హంటింగ్ అంతర్జాతీయంగా $225 మిలియన్ను (చలన చిత్ర బడ్జెట్కు ఇరవై రెండు రెట్లు) ఆర్జించింది. 1997లో ముగింపులో (ఇది ఆస్కార్ సభ్యులకు ఒక సంప్రదాయం) ఈ చలన చిత్రం తక్కువ సంఖ్యలో విడుదలైనప్పటికీ, దాని భావి విజయానికి సంకేతాన్ని అందించింది, అమెరికా ప్రజల యొక్క మంచి సమీక్షలు మరియు ఒక బలమైన ఆదరణకు ధన్యవాదాలు. ఈ చలన చిత్రం అంతర్జాతీయ కీర్తిని ఆర్జించింది, దీనిలో భాగంగా మ్యాట్ డామన్, రాబిన్ విలియమ్స్ మరియు మిన్నియే డ్రైవర్ల నటనకు మంచి ప్రశంసలు అందాయి, వీరందరూ చలన చిత్రం కోసం అకాడమీ అవార్డులకు నామినేట్ కాగా, విలియమ్స్ గెలుచుకున్నాడు. డామన్ మరియు అఫ్లెక్లు ఉత్తమ వాస్తవ స్క్రీన్ప్లే కోసం ఒక ఆస్కార్ను గెలుచుకున్నారు. జెనె సిస్కెల్ దీనిని 1997లో అతని ఎనిమిది ఇష్టమైన చలన చిత్రాల్లో ఒకటిగా పేర్కొన్నాడు.
బాక్స్ ఆఫీస్
పరిమిత సంఖ్యలో విడుదలైన ఈ చలన చిత్రం యొక్క ప్రారంభ వారాంతంలో, ఇది $272,912 ఆర్జించింది. దాని జనవరి 1998 విస్తృత విడుదల ప్రారంభ వారాంతంలో, ఇది $10,261,471 ఆర్జించింది. ఇది దేశవ్యాప్తంగా $138,433,435 నికర లాభాన్ని ఆర్జించగా, ఇది ప్రపంచవ్యాప్తంగా $225,900,000 ఆర్జించింది. ఈ చలన చిత్రం బాక్స్ ఆఫీస్ వద్ద జేమ్స్ కామెరన్ యొక్క టైటానిక్తో పోటీ పడింది, తర్వాత ఇది సర్వకాలిక సమయంలో అత్యధికంగా ఆర్జించిన చలన చిత్రంగా పేరు గాంచింది (ఈ మొత్తం ప్రస్తుతం అవతార్ వసూళ్లు అధిగమించాయి).
ప్రసారమాధ్యమాల్లో
ఈ చలన చిత్రం మరియు దాని ప్రజాదరణను కీవెన్ స్మిత్ యొక్క జే అండ్ సైలెంట్ బాబ్ స్ట్రయిక్ బ్యాక్ లో అఫ్లెక్ మరియు డామన్లు హాస్యానుకృతిగా మలిచారు.
సీజన్ 5లో, ఇట్స్ ఆల్వేస్ సన్నీ ఇన్ ఫిలాడెల్ఫియాలోని 12 భాగంలో, చార్లీ ఒక "గుడ్ విల్ హంటింగ్"ను చొప్పించేందుకు ప్రయత్నించాడు.
సీజన్ 1లో, కమ్యూనిటీ (TV సిరీస్)లోని 24 భాగంలో, ట్రాయ్ "గుడ్ విల్ హంటింగ్" హాస్యానుకృతిలో నటించేందుకు సహజ సామర్థ్యాన్ని కలిగి ఉన్నట్లు భావించాడు.
TV కార్యక్రమం ఫ్రెండ్స్ (TV సిరీస్)లో, రోజ్ "దోజ్ గుడ్ విల్ హంటింగ్ గైస్" వంటి అతని సొంత చలన చిత్రాన్ని రచించమని జోయేకు సూచించాడు, దానికి జోయే స్పందించి, "దానిలో నటించేందుకు అటువంటి వ్యక్తులను నేను మళ్లీ సంపాదించలేనని" సూచించాడు.
ఫ్యూచరామా సీజన్ 1, 11 భాగంలో, గుంథెర్ ఒక అమ్మాయి ఫోన్ నంబర్కు ఫోన్ చేసి, "నీకు అరటిపళ్లు అంటే ఇష్టమా?" అని ప్రశ్నిస్తాడు నాకు ఆమె నంబర్ దొరికింది, నువ్వు 'అరటిపళ్లు ఇష్టమా" అని ఎందుకు అడిగావు?
ఫ్యామలీ గై సీజన్ 5, 7 భాగంలో, బ్రియాన్ పలుసార్లు స్టెవియేతో ఇలా చెప్తాడు, గుడ్ విల్ హంటింగ్లో వలె ఆలివియాతో అతని విడిపోయిన సంఘటనకు అతని లోపం లేదని చెబుతాడు.
"బాయ్స్ అండ్ గర్ల్స్" ది ఆఫీస్ భాగంలో, మైకేల్ స్కాట్ ఆ ప్రాంతంలో ఉండకూడని ఎవరైనా ఉన్నారేమోనని తనిఖీ చేయడానికి గోదాం నల్లబల్లపై ఒక సులభమైన పొడవైన విభాజక సమస్యను ఉంచుతాడు. అతను దానిని "ఒక స్వల్ప గుడ్ విల్ హంటింగ్ దృశ్యం"గా సూచిస్తాడు.
స్టెప్ బ్రదర్స్ (చలన చిత్రం)లో, ఒక వైద్య పరీక్షలో డాలే అతని నేపథ్యం గురించి వివరిస్తున్నప్పుడు, వైద్యుడు "ఇది గుడ్ విల్ హంటింగా?" అని ప్రశ్నిస్తాడు
అవార్డులు
70వ అకాడమీ అవార్డులు
గెలుపొందింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ సపోర్టింగ్ యాక్టర్ - రాబిన్ విలియమ్స్
గెలుపొందింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ రైటింగ్ ఒరిజినల్ స్క్రీన్ప్లే - బెన్ అఫ్లెక్ & మ్యాట్ డామన్
నామినేట్ అయ్యింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ పిక్చర్
నామినేట్ అయ్యింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ యాక్టర్ - మ్యాట్ డామన్
నామినేట్ అయ్యింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ సపోర్టింగ్ యాక్ట్రస్ - మిన్నియే డ్రైవర్
నామినేట్ అయ్యింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ డైరెక్టర్ - గుస్ వ్యాన్ సాంట్
నామినేట్ అయ్యింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ సాంగ్ - ఎల్లీయోట్ స్మిత్ ("మిస్ మిజరే" పాట)
నామినేట్ అయ్యింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ ఒరిజినల్ మ్యూజిక్ స్కోర్ - డానీ ఎల్ఫ్మ్యాన్
నామినేట్ అయ్యింది: అకాడమీ అవార్డు ఫర్ ఫిల్మ్ ఎడిటింగ్ - పైట్రో స్కాలియా
55వ గోల్డెన్ గ్లోబ్ అవార్డులు
గెలుపొందింది: గోల్డెన్ గ్లోబ్ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ స్క్రీన్ప్లే - మోషన్ పిక్చర్ - బెన్ అఫ్లెక్ & మ్యాట్ డామన్
నామినేట్ అయ్యింది — గోల్డెన్ గ్లోబ్ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ మోషన్ పిక్చర్ – డ్రామా
నామినేట్ అయ్యింది: గోల్డెన్ గ్లోబ్ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ మోషన్ పిక్చర్ యాక్టర్ - డ్రామా - మ్యాట్ డామన్
నామినేట్ అయ్యింది: గోల్డెన్ గ్లోబ్ అవార్డు బెస్ట్ యాక్టర్ ఇన్ ఎ సపోర్టింగ్ రోల్ ఇన్ ఎ మోషన్ పిక్చర్ - రాబిన్ విలియమ్స్
ఇతర ప్రముఖ అవార్డులు/నామినేషన్లు
నామినేట్ అయ్యింది: డైరెక్టర్స్ గైడ్ ఆఫ్ అమెరికా అవార్డు ఫర్ అవుట్స్టాండింగ్ డైరెక్టరల్ అచీవ్మెంట్ ఇన్ మోషన్ పిక్చర్స్ - గుస్ వ్యాస్ సాంట్
నామినేట్ అయ్యింది: రైటర్స్ గైడ్ ఆఫ్ అమెరికా అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ స్క్రీన్ప్లే రెటిన్ డ్రైరక్ట్లీ ఫర్ ది స్క్రీన్ - బెన్ అఫ్లెక్ & మ్యాట్ డామన్
సౌండ్ట్రాక్
"మిస్ మిజరే" అకాడమీ అవార్డు ఫర్ బెస్ట్ ఒరిజినల్ సాంగ్ కోసం నామినేట్ చేయబడింది, కాని టైటానిక్ లోని "మై హార్ట్ విల్ గో ఆన్" అవార్డు గెలుపొందింది. స్టార్ల్యాండ్ వోకల్ బ్యాండ్ యొక్క "ఆఫ్టర్నూన్ డిలైట్" కూడా "మిస్ మిజరే" తర్వాత ముగింపు పేర్లు సమయంలో ఉపయోగించారు, కాని సౌండ్ట్రాక్లో లేదు.
డానీ ఎల్ఫ్మాన్ యొక్క స్కోర్ ఒక ఆస్కార్కు నామినేట్ అయినప్పటికీ, రెండు పాటలు మాత్రమే చలన చిత్రం యొక్క సౌండ్ట్రాక్ విడుదలలో ఉన్నాయి. ఎల్ఫ్మాన్ యొక్క "వీపే డోనట్స్"ను 11 సెప్టెంబరు 2006న NBC యొక్క ది టుడే షో లో ఉపయోగించారు, ప్రారంభ పేర్లు సమయంలో మ్యాట్ లౌర్ మాట్లాడాడు.
ట్రాక్ జాబితా
ఎల్లియోట్ స్మిత్ - "బిట్వీన్ ది బార్స్" (ఆర్కెస్ట్రల్)
జెబ్ లాయ్ నికోలస్ - "యాజ్ ది రైన్"
ఎల్లియోట్ స్మిత్ - "ఏంజెలెస్"
ఎల్లియోట్ స్మిత్ - "పేరు లేదు #3"
ది వాటర్బాయ్స్ - "ఫిషర్మ్యాన్ బ్లూస్"
లుసీయస్ జాక్సన్ - "వై డూ ఐ లై?"
డానీ ఎల్ప్మాన్ - "విల్ హంటింగ్" (ప్రధాన శీర్షికలు)
ఎల్లియోట్ స్మిత్ - "బిట్వీన్ ది బార్స్"
ఎల్లియోట్ స్మిత్ - "సే యస్"
గెర్రీ రాఫెర్టే - "బేకర్ స్ట్రీట్"
అండ్రు డోనాల్డ్స్ - "సమ్బడీస్ బేబీ"
ది డాండీ వార్హోల్స్ - "బాయ్స్ బెటర్"
ఆల్ గ్రీన్ - "హౌ కెన్ యు మెండ్ ఏ బ్రోకెన్ హార్ట్?"
ఎల్లియోట్ స్మిత్ - "మిస్ మిజరే"
డానీ ఎల్ఫ్మాన్ - "వీపే డూనట్స్"
సూచికలు
బాహ్య లింకులు
on IMDb
at the TCM Movie Database
at AllMovie
at Box Office Mojo
at Rotten Tomatoes
వర్గం:ఆంగ్ల భాషా చలనచిత్రాలు
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%97%E0%B1%81%E0%B0%A1%E0%B1%8D%20%E0%B0%B5%E0%B0%BF%E0%B0%B2%E0%B1%8D%20%E0%B0%B9%E0%B0%82%E0%B0%9F%E0%B0%BF%E0%B0%82%E0%B0%97%E0%B1%8D |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
858,
1775,
2521,
2771,
3837,
4274,
5078,
5634,
6223,
6717,
7310,
7625,
8174,
8279,
8686,
9069,
9445,
10006,
10210,
10616,
11032,
11281,
11342,
11405,
11587
],
"plaintext_end_byte": [
857,
1774,
2513,
2761,
3836,
4273,
5042,
5626,
6222,
6708,
7298,
7624,
8173,
8278,
8649,
9068,
9420,
10005,
10195,
10615,
11031,
11280,
11315,
11390,
11543,
11699
]
} | 벨기에의 GDP는 무엇인가? | 유럽 연합 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
유럽 연합 (, 약칭 EU)는 유럽에 위치한 29개의 회원국 간의 정치 및 경제 통합체이다.[1] 유럽 연합의 인구수는 5억 1,300만 명으로, 영토는 4,475,757 km2이다. 유럽 연합은 회원국 전체에 적용되는 표준화된 법을 통해 유럽 단일시장을 발전시키고 있다. 유럽 연합의 정책은 사람, 상품, 자본, 그리고 서비스가 국내 시장에서 자유롭게 이동하는 것을 목표로 하고 있으며,[2] 국내 문제와 정의에 관한 법률을 제정하고,[3] 농업,[4] 어업 그리고 지역 개발에서 공동정책을 채택한다.[5] 솅겐 지역에서의 여행에서, 유럽 연합은 출입국관리를 폐지했다.[6] 1999년 유로존이 설립되어 2002년 발효되었으며, 유로를 통화로 사용하는 19개의 회원국으로 구성되어 있다.
유럽 연합과 유럽 시민권은 1993년 마스트리흐트 조약이 발효되었을 때 설립되었다.[7] 유럽 연합의 기원은 1951년 파리 조약으로 창설된 유럽 석탄 철강 공동체와 1957년 로마 조약으로 창설된 유럽 경제 공동체이다. 유럽의 공동체를 창립한 것으로 알려진 회원국은 벨기에, 프랑스, 이탈리아, 네덜란드, 룩셈부르크, 서독 6개국으로, 이들을 합쳐 이너 식스라고 부른다. 위원회와 그들의 계승자들은 새로운 회원국이 가입하에 따라 확장되었다. 유럽 연합의 헌법적 기초에 대한 마지막 주요 합의사항은 2009년 리스본 조약에서 체결되었다. 아직 유럽 연합에서 탈퇴한 국가는 없지만, 영국이 2016년 6월 유럽 연합에서 탈퇴하는 것을 결정했고, 2019년 3월 29일을 목표로 브렉시트 협상을 개시 중이다.
전 세계 인구의 7.3%을 차지하는 유럽 연합의[8] 2017년 기준 국내총생산은 19조 6700억 달러로, 전세계 GDP의 24.6%를 차지한다.[9]또한 유럽 연합 회원국 모두는 인간개발지수에서 높은 수치를 보유하고 있다. 2012년 유럽 연합은 노벨 평화상을 수상하기도 했다.[10] 공동 외교 및 보안 정책을 통해 유럽 연합은 외국과의 무역 및 영토 방어의 역할을 발전시켰다. 유럽 연합은 세계 곳곳에 정치 사절단을 파견했으며, 유엔, 세계 무역 기구, G7, G20 등에 대표단을 보내기도 한다. 유럽 연합의 세계적 영향력 때문에, 유럽 연합은 종종 신흥 강대국으로 묘사되기도 한다[11]
명칭
유럽 연합의 언어는 가입국 각각의 공용어로 정해져 있어서 2013년 7월 1일 이후에는 총 공용어 수가 24개나 된다. 따라서 유럽 연합 이사회의 정식 명칭도 공용어와 같은 수만큼 있다.
역사
유럽 연합의 기원은 1946년 9월 19일 영국 수상 윈스턴 처칠이 스위스의 취리히에서 한 유명한 유럽에 관한 연설에까지 거슬러 올라간다. 이 연설에서 윈스턴 처칠은 유럽에 유엔과 유사한 기구의 필요성을 언급하였다. 1950년 5월 9일 장 모네가 구상한 석탄 및 철광석 채굴을 위한 프랑스-독일(서독) 간의 공동 사무소 설치에 관한 계획을 당시 프랑스의 외무부 장관을 역임하고 있던 로베르 쉬망이 쉬망 선언(Déclaration Schuman)을 통해 공식적으로 건의함으로써 최초로 유럽 공동체에 대한 생각이 중앙 유럽 국가 간에 토론되기 시작하였다 (이 역사적 사건을 기념하기 위해 5월 9일은 유럽의 날로 지정되어 있다). 1951년 4월 18일 프랑스, 독일, 이탈리아, 벨기에, 네덜란드, 룩셈부르크 6개국은 석탄 및 철광석 채굴에 관한 조약을 (유럽 석탄 철강 공동체, ECSC) 체결함으로써 유럽 내의 시장권을 거의 장악하였다.
2000년대에 들어 기존 회원국인 서유럽 국가들보다 상대적으로 낙후된 중앙유럽 국가들이 가입하면서 여러 문제점들이 발생하고 있다. 저렴한 중앙유럽의 노동력이 서유럽으로 몰려오면서 서유럽 국가들은 실업난을 겪고 있으며, 중앙유럽 국가들은 자국의 우수한 인재들이 서유럽으로 빠져나가 국가 발전에 어려움을 겪고 있다.
유럽 연합은 경제 통합을 넘어 정치적 통합을 이루는 과정으로서, 2009년 12월 1일 발효된 리스본 조약에 의해, 순번의장 제도가 폐지되고 상임의장인 유럽 이사회 의장 자리가 신설되어, 2009년 11월 19일 벨기에 브뤼셀에서 열린 특별정상회의에서 27개국 정상이 만장일치로 반롬푀이 총리를 초대 상임의장에 선출되어, 2009년 12월 1일부터 헤르만 반롬푀이가 의장을 맡고 있다.[12][13][14] 2012년에 독일과 프랑스 등 EU의 주요국들이 유럽연방의 직전 단계에 해당되는 새로운 EU 통합안의 골격을 내놓았다. 하지만 권고안이 되었고 EU 통합에 부정적인 영국은 처음부터 논의에서 빠졌다.[15]
현재 상황
영국 국민 투표
2016년 2월 20일 데이비드 캐머런 영국 총리는 영국의 유럽 연합 회원국 지위를 두고 2016년 6월 23일 투표에 부치기로 결정했다. 이 날 영국은 유럽 연합에서 탈퇴하기로 결정했다. 유럽 연합의 탈퇴는 영국 독립당에 의해 적극 추진되었다. 국민투표 결과, 2016년 6월 24일에 4%p 차로 영국의 유럽연합 탈퇴가 결정되었다.[16][17] 이 사건을 브렉시트(Brexit)라고 한다. 이후 유럽 연합은 영국의 회원국 자격을 심사하게 된다.
언어
유럽 연합(EU)은 유럽 연합 회원국 내에서 사용되는 많은 언어와 방언 중에서 24개의 언어를 공식 언어 및 실무 언어로 정하고 있다. 이에 해당하는 언어는 불가리아어, 크로아티아어, 체코어, 덴마크어, 네덜란드어, 영어, 에스토니아어, 핀란드어, 프랑스어, 독일어, 그리스어, 헝가리어, 이탈리아어, 아일랜드어, 라트비아어, 리투아니아어, 몰타어, 폴란드어, 포르투갈어, 루마니아어, 슬로바키아어, 슬로베니아어, 스페인어, 스웨덴어이다.
유럽 의회는 문서와 본회의 관련 자료등을 모든 언어로 번역한다. 일부 기관 내부 실무 언어와 같은 경우 소수 언어(카탈루냐어, 갈리시아어, 바스크어, 게일어와 웨일스어)를 사용하지만 이들 언어는 공식 언어가 아니다. 유럽 연합(EU)에서 가장 많이 사용되는 외국어 비율을 계산하면 영어가 인구의 38%로 가장 많고 독일어가 12% 프랑스어가 11% 순으로 나타나고 있다.
종교
유로 바로미터(Eurobarometer)에 의해 실시된 2012년 유럽 연합(EU)의 종교성에 대한 새로운 여론 조사에 따르면, 기독교는 EU 시민의 72%를 차지하는 유럽 연합 (EU)에서 가장 큰 종교이다. 개신교는 12%를 차지하는 반면 천주교는 48%의 EU 시민을 차지, 유럽 연합 (EU)에서 가장 큰 기독교 교파였다. 그리고 동방 정교회는 8%를 구성하고, 다른 기독교인들은 유럽 연합(EU) 인구의 4%를 차지한다. 비 신자로는 불가지론 16%, 무신론자 7%, 이슬람교 2%이다.[18]
회원국
1957년 창립 회원국은 네덜란드, 서독(현재의 독일), 룩셈부르크, 벨기에, 이탈리아, 프랑스 총 여섯 국가이다. 이후 1973년에는 그린란드[19]를 제외한 덴마크, 아일랜드, 영국이, 1981년에는 그리스가, 1986년에는 스페인, 포르투갈이 가입했다.
1990년에는 동서독 통일로 인해 옛 동독이 서독에 합병되면서 유럽 연합의 회원국이 되었다. 1995년에는 스웨덴, 오스트리아, 핀란드가, 2004년 5월 1일에는 라트비아, 리투아니아, 몰타, 슬로바키아, 슬로베니아, 에스토니아, 체코, 키프로스[20], 폴란드, 헝가리가 가입했으며, 2007년 1월 1일에는 루마니아, 불가리아가 가입했다. 2013년에는 크로아티아가 28번째 회원국이 되었다. 2016년 6월 23일 영국이 탈퇴를 신청하였다.
또한 유럽은 아니지만 몇몇 유럽 연합 회원국의 속령도 유럽 연합의 일부이다.
스페인의 카나리아 제도, 세우타와 멜리야 (아프리카)
포르투갈의 아조레스 제도와 마데이라 제도(아프리카)
프랑스의 과들루프(서인도 제도 - 소앤틸리스 제도), 레위니옹(아프리카), 마요트(남아프리카), 마르티니크(서인도 제도 - 소앤틸리스 제도), 프랑스령 기아나(남아메리카)
기구 및 기관
유럽 이사회
유럽 이사회(European Council) 또는 EU 정상회의는 유럽 연합 회원국의 국가 원수 또는 정부 장관(각료)과 유럽 이사회 의장, 유럽 위원회 위원장으로 구성되고 마스트리흐트 조약에 규정이 있는 기관이다. 이사회 회의에는 EU 외교·안보 정책 대표도 참석하며, 이사회 의장이 의사 진행을 한다.
입법 권한은 주어지지 않지만 유럽 이사회는 중요한 문제를 다루는 기관이며, 또한 여기서 이루어진 결정은 EU의 일반적인 정치 지침을 정하는 기본이 된다. 이사회는 반년 동안 적어도 2회 정도 회의를 가지며, 주 회의 장소는 브뤼셀의 유스투스 립시우스 빌딩이다.
유럽 연합 이사회
유럽 연합 이사회(Council of the European Union) 또는 EU 각료회의는 유럽 연합의 입법·정책 결정 기관이다. 이사회 회원국들의 각료 1명씩으로 구성된 집단체로서, 회원 각국의 국익을 직접적으로 표현하고 대변하는 정부간 기구이다. 그 구성은 다루는 주제(외무,농무,재무 등)에 따라 달라진다. 그러나 일반적 사항을 다룰 때는 보통 각국의 외무장관으로 구성되고, 전문적 사항을 다룰 때만 소관업무의 담당 장관들로 구성된다.
유럽 연합본부는 벨기에의 브뤼셀에 있다. 하지만 4월, 6월 및 11월에 개최되는 각료급 회담은 룩셈부르크의 수도인 룩셈부르크 시에서 열린다.
유럽 의회
유럽 의회 (European Parliament)는 유럽 연합의 입법 기관이다. 27개 유럽 연합 회원국의 시민들에 의해 5년에 한 번씩 직접선거로 선출된다. 본부는 프랑스 스트라스부르에 있다. 주요한 입법기능은 각료 이사회가 주로 행사하지만, 마스트리흐트 조약 이후로는 입법기능과 정치적 영향력이 점차 강화되고 있다.
유럽 의회는 주도적으로 입법을 할 수는 없지만 많은 정책 영역에서 수정요구나 거부권을 행사할 수 있다. 특정 정책에 대해서 조언만 할 수 있는 경우도 있다. 유럽 의회는 또한 유럽 집행 위원회를 감독하며 집행위원 임명 동의를 하며 불신임투표를 통해 해임할 수 있다. 또한 유럽 연합의 예산 감독권을 가진다.
이전의 OSCE나 유럽 평의회, 서유럽 연합 등도 의회를 가지고 있었지만 모두 회원국의 의회에 의해 임명되었다. 하지만 유럽의회는 1979년 이래 유일하게 시민들에 의해 직접 선출되고 있다.
국가별 연합 의회 의원 수
그 외 기구와 기관
유럽 사법재판소
유럽 중앙 은행(ECB)
같이 보기
로마 조약
마스트리히트 조약
니스 조약
리스본 조약
유럽 평의회
유럽 헌법
유럽 통합화
유엔
브렉시트
각주
참고 문헌
외부 링크
분류:1993년 설립
분류:유엔 총회 옵서버
분류:노벨 평화상 수상 단체
분류:G20 회원국
| https://ko.wikipedia.org/wiki/%EC%9C%A0%EB%9F%BD%20%EC%97%B0%ED%95%A9 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
3903,
6634,
7481
],
"plaintext_end_byte": [
3902,
6592,
7424,
7548
]
} | كم آية في القرآن؟ | قائمة سور القرآن الكريم | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
6015
],
"minimal_answers_end_byte": [
6047
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
يقسم القرآن إلى 114 فصلًا مختلفة الطول،[1][2] تُعرف باسم "السُوَر" ومفردها "سورة". وتُقسم هذه السور إلى قسمين: مكية ومدنية، فأما السور المكية فهي التي نزلَت في مدينة مكة قبل الهجرة إلى المدينة، وأغلبها يدور على بيان العقيدة وتقريرها والاحتجاج لها، وضرب الأمثال لبيانها وتثبيتها وعددها 86 سورة، أما السور المدنية فهي التي نزلت بعد الهجرة سواءً في المدينة المنورة أو في مكة المكرمة بعد الفتح، ويكثر فيها ذكر التشريع، وبيان الأحكام من حلال وحرام وعددها 28 سورة.[1] وقد قسَّم علماء الشريعة سور القرآن إلى ثلاثة أقسام وفقًا لطولها، ألا وهي: السبع الطوال وهي سور البقرة، وآل عمران، والنساء، والمائدة، والأنعام، والأعراف، وبراءة. وسميت بالطوال لطولها، والطوال جمع طولى.[3] والمئون، وهي ما ولي السبع الطوال، سُمِّيَت بذلك لأن كل سورة منها تزيد على مائة آية أو تقاربها.[3] والمثاني، وهي ما ولي المئين.[3] قام مسلمو الصدر الأول بتسمية سور القرآن بحسب تكرر الاستعمال، فمن المعلوم أن العرب تراعي في الكثير من المسميات أخذ أسمائها من نادر أو مستغرب يكون في الشيء من خَلْق أو صفة تخصه، أو تكون معه أحكم أو أكثر أو أسبق. وعلى ذلك جرَت أسماء سور القرآن، كتسمية سورة البقرة بهذا الاسم لقرينة ذكر قصة البقرة المذكورة فيها، وسميت سورة النساء بهذا الاسم لما تردد فيها من كثير من أحكام النساء، وتسمية سورة الأنعام لما ورد فيها من تفصيل في أحوالها، وسُميت سورة الإخلاص كذلك لما فيها من التوحيد الخالص، وهكذا دواليك.[4] أولى السور في المصحف هي سورة الفاتحة، وقد جُمعت السور الطويلة في أوَّل المصحف والقصيرة في آخره، وبالتالي فإن ترتيب السور ليس بحسب تاريخ نزولها، وجميع هذه السور تبدأ بالبسملة: ، عدا سورة التوبة، ويفسِّر العلماء ذلك بقولهم إنها نزلت بالقتال بينما البسملة بركة وطمأنة فلا يناسب أن تبدأ السورة التي في القتال وفي الحديث عن المنافقين بالبسملة، وقيل أيضًا لأن العرب كان من شأنهم أنهم إذا كان بينهم وبين قوم عهد فإذا أرادوا التوقف عنه كتبوا إليهم كتابًا ولم يكتبوا فيه بسملة، فلما نزلت السورة بنقض العهد الذي كان بين النبي محمد والمشركين بعث بها النبي علي بن أبي طالب، فقرأها عليهم ولم يبسمل في ذلك على ما جرت به عادة العرب.[5] لكن على الرغم من ذلك، فإن عدد البسملات في القرآن يصل إلى 114 بسملة ليتساوى بذلك مع عدد السور، وذلك لأن إحدى البسملات ذُكرَت في صُلب سورة النمل وتحديدًا في الآية رقم 30، على أنها ما كان النبي والملك سليمان يفتتح به رسائله إلى بلقيس ملكة سبأ: [lower-alpha 1].[6]
تُقسم كل سورة من سور القرآن إلى عدَّة آيات يختلف عددها باختلاف السور، كما يختلف طولها أيضًا، حيث أن بعضها عبارة عن بضعة حروف وبعضها الآخر عبارة عن عدد من السطور. وقد نزلت الآيات القرآنية متميزة عن بيوت الشعر العربي الجاهلي في القافية والوزن، وجاءت شبيهة جدًا بالعبارات المنسوبة إلى أنبياء العهد القديم المذكورة في الكتاب المقدس، وفي هذا قال العلماء المسلمون أنها نزلَت على هذا الشكل لتؤكد نبوَّة محمد ولتجابه العرب الوثنيين في أكثر ما تميزوا به وأتقنوه، ألَا وهو الشعر، وذلك بأن ترغمهم على التفكّر في كيفية إمكان شخص أميّ لا يقرأ الشعر أو يتقنه، أن يأتي بما يفوقه فصاحة. أما عدد آيات القرآن فقد جاء باجتهاد من كبار الصحابة والتابعين ومن روى عنهم، فالنص القرآني محفوظ عندهم ولكن الرسول محمد لم يحدد لهم عدد آيات سورة بعينها إلا سورة الملك في حديثه عن سورة ثلاثون آية تنجي من عذاب القبر، وسورة الفاتحة،[7] عدا ذلك فقد اجتهد علماء المسلمين منذ القرن الأول الهجري في تحديد أي المواضع التي أثر عن النبي محمد هي رؤوس الآيات فنتج عن ذلك سور اختلف العادون مواضع رؤوس الآيات فيها وبالتالي في عدد آياتها، وسور اتفق العادون في عدد آياتها واختلفوا في مواضع رؤوس الآيات، وسور اتفق العادون في عدد آياتها ومواضع رؤوس الآيات فيها. على الرغم من ذلك فإن العلماء اتفقوا على أن الآيات لا تقل عن ستة آلاف، أما ما يزيد عن ذلك فمنهم من قال: مئتا آية وأربع آيات، وقيل: أربع عشر آية، وقيل مئتان وتسع عشرة آية وقيل مئتان وخمس وعشرون آية أو ست وعشرون، وقيل مائتان وست وثلاثون آية.[8][9] وتجدر الإشارة إلى أن الاختلاف في عدد الآيات لا يعنى وجود نصوص مختلفة، وإنما سببه الاختلاف في تحديد مواضع بداية ونهاية بعض الآيات.
قائمة بالسور القرآنية
ترقيم الصفحات حسب النسخة المقدمة من مجمع الملك فهد لطباعة المصحف الشريف، وتوجد طبعات أخرى تختلف في عدد السطور في كل صفحة وبالتالي تختلف صفحات بدايات السور.
اختلف علماء المسلمين في طريقة نزول القرآن فمن الآيات ما يثبت نزول القرآن جملةً ومنها ما يثبت نزوله منجماً وعلى هذا فإن القرآن مر بعدة تنزيلات منها ما هو جملة ومنها ما هو منجم في مراحل تنزيله من الله إلى الرسول محمد. (للمزيد: طالع تنزيلات القرآن، وكذلك أول ما نزل من القرآن وآخره).
المصادر
حاشية
وصلات خارجية
تصنيف:سور
تصنيف:قوائم متعلقة بالقرآن
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%82%D8%A7%D8%A6%D9%85%D8%A9%20%D8%B3%D9%88%D8%B1%20%D8%A7%D9%84%D9%82%D8%B1%D8%A2%D9%86%20%D8%A7%D9%84%D9%83%D8%B1%D9%8A%D9%85 |
{
"plaintext_start_byte": [
3,
1039,
2564,
4359,
5153,
5529,
7111,
8353,
9574,
11187,
11888,
12109,
12701,
13197,
13481,
13751,
14967,
15795,
16012,
16989,
17212,
18715,
19805,
22057,
30282,
30503,
31038,
33436,
34615,
35980,
37078,
38706,
40635,
41638,
42940,
44717,
45952,
46745,
47348,
47956,
49628,
50508,
51034,
51656,
51959,
52198,
52443
],
"plaintext_end_byte": [
1004,
2532,
4311,
5152,
5466,
7025,
8243,
9486,
11115,
11855,
12065,
12672,
13196,
13480,
13712,
14929,
15775,
15957,
16922,
17211,
18714,
19737,
22056,
30211,
30473,
31037,
33378,
34564,
35922,
37077,
38705,
40634,
41637,
42939,
44716,
45951,
46678,
47347,
47933,
49590,
50460,
50976,
51655,
51899,
52155,
52383,
52550
]
} | మహాశివరాత్రి చిత్ర కథానాయకుడు ఎవరు? | మహాశివరాత్రి | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
మహాశివరాత్రి ఒక హిందువుల పండుగ. దేవుడు శివుడుని భక్తితో కొలుస్తూ జరుపుకుంటారు. ఇది శివ, దేవేరి పార్వతి వివాహం జరిగిన రోజు. మహా శివరాత్రి పండుగను 'శివరాత్రి' అని కూడా ప్రముఖంగా పిలుస్తారు. (అంతేకాక శివరాత్రి, సివరాత్రి, శైవరాతిరి, శైవవరాత్రి, మరియు శివరాతిరి అని కూడా పలుకుతారు) మరికొందరు 'శివుడి యొక్క మహారాత్రి', అని లేదా శివ మరియు శక్తి యొక్క కలయికను సూచిస్తుంది అని అంటారు.
ప్రాశస్త్యం
మహా శివరాత్రి చాంద్రమాన నెల లెక్కింపు ప్రకారం మాఘమాసం యొక్క కృష్ణ పక్ష చతుర్దశి రోజున వస్తుంది. హిందువుల పండుగలలో మహాశివరాత్రి ప్రశస్తమైనది. ప్రతీ ఏటా మాఘ బహుళ చతుర్దశి నాడు చంద్రుడు శివుని జన్మ నక్షత్రమైన ఆరుద్ర యుక్తుడైనప్పుడు వస్తుంది. శివుడు ఈ రోజే లింగాకారంగా ఆవిర్భవించాడని శివపురాణంలో ఉంది. చాంద్రమాన నెల లెక్క ప్రకారం, ఈ రోజు గ్రెగేరియన్ క్యాలెండర్లో ఫిబ్రవరి లేదా మార్చి నెలలో వస్తుంది. హిందువుల క్యాలెండర్ నెలలో ఫాల్గుణ మాసము యొక్క కృష్ణ పక్ష చతుర్దశి. సంవత్సరంలో పన్నెండు శివరాత్రులలో మహా శివరాత్రి అత్యంత పవిత్రమైనదిగా భావింపబడుతుంది.[1]
బిల్వార్చన
పండుగ ప్రధానంగా బిల్వ ఆకులు శివుడికి, సమర్పణల ద్వారా జరుపుకుంటారు. ఒక రోజంతా ఉపవాసం మరియు రాత్రి అంతా జాగరణ చేసారు. ఇది శివ భక్తులకు అత్యంత పర్వదినం. ఈనాడు శివభక్తులు తెల్లవారుజామున లేచి, స్నానం చేసి, పూజలు చేసి, ఉపవాసం ఉండి రాత్రి అంతా జాగరణము చేసి మరునాడు భోజనం చేస్తారు . రాత్రంతా శివ పూజలు, అభిషేకములు, అర్చనలు, శివలీలా కథాపారాయణలు జరుపుతారు. అన్ని శివక్షేత్రాలలో ఈ ఉత్సవము గొప్పగా జరుగుతుంది . పూర్వం శ్రీశైలం క్షేత్రంలో జరిగే ఉత్సవమును పాల్కురికి సోమనాథుడు పండితారాధ్య చరిత్రము</i>లో విపులంగా వర్ణించాడు. శైవులు ధరించే భస్మము/విభూతి తయారుచేయటానికి ఈనాడు పవిత్రమైనదని భావిస్తారు. రోజు అంతా భక్తులు "ఓం నమః శివాయ", శివ యొక్క పవిత్ర మంత్రం పఠిస్తారు.
ఆధ్యాత్మిక శక్తి
తపస్సు, యోగ మరియు ధ్యానం వాటి అభ్యాసంతో క్రమంగా మరియు వేగంగా జీవితం యొక్క అత్యధికంగా మంచిని చేరటానికి. ముక్తి పొందడానికి నిర్వహిస్తారు. ఈ రోజు, ఉత్తర ధ్రువంలోని గ్రహ స్థానాలు అంతా బలమైనవిగా ఉత్ప్రేరకాలు చర్యతో ఒక వ్యక్తి ఎక్కువ సులభంగా అతని లేదా ఆమె ఆధ్యాత్మిక శక్తి పెంచడానికి సహాయంగా ఉంటాయి.
మహా మృత్యుంజయ మంత్రం వంటి శక్తి వంతమైన పురాతన సంస్కృత మంత్రాల యొక్క ప్రయోజనాలు శక్తి ఈ రాత్రి గొప్పగా పెరుగుతుంది.[2]
విదేశాలు మహాశివరాత్రి
నేపాల్ లో, కోట్లాది హిందువుల ప్రఖ్యాత పశుపతినాథ్ ఆలయం వద్ద ప్రపంచంలోని వివిధ ప్రాంతాల నుండి కలిసి శివరాత్రికి హాజరు అవుతారు. వేలాది భక్తులు కూడా ప్రముఖ నేపాల్ శివ శక్తి పీఠము వద్ద మహాశివరాత్రికి హాజరు అయి జరుపుకుంటారు.
ట్రినిడాడ్ మరియు టొబాగోలో,దేశవ్యాప్తంగా వేలాది హిందువులు 400 పైగా ఆలయాల్లో పవిత్రమైన మహాశివరాత్రి రోజు రాత్రి శివుడికి ప్రత్యేక అభిషేకాలు అందించటం ద్వారా గడుపుతారు.[3]
మహాశివరాత్రి రోజు పశుపతినాథ్ దేవాలయం నేతి దీపపు కుందులతో కన్నులపండుగా ఉంటుంది. వేలాది భక్తులు శివరాత్రి రోజు బాగమతి నదిలో స్నానము చేసి, శివరాత్రి పండుగ జరుపుకొంటారు.
మహా శివరాత్రి బంగ్లాదేశ్ వేడుక
బంగ్లాదేశ్లో హిందువులు కూడా మహా శివరాత్రి జరుపుకుంటారు. వారు శివుని దివ్య వరం పొందడానికి ఆశతో ఉపోషం (ఫాస్ట్) ఉంటారు. అనేక బంగ్లాదేశ్ హిందువులు ఈ ప్రత్యేక రోజు పాటించడానికి చంద్రనాధ్ ధామ్ (చిట్టగాంగ్) వెళ్తారు. బంగ్లాదేశ్ లోని అందరు హిందువులు మహా శివరాత్రి రోజు చాలా ప్రముఖంగా జరుపుకుంటారు. ఈ రోజున ఉపోషం (ఫాస్ట్) మరియు పూజ నిర్వహించిన చేసిన యెడల ఒక మంచి భర్త / భార్యను పొందుతారు అని బంగ్లాదేశ్ హిందువుల ద్వారా చెప్పబడింది,
మధ్య (సెంట్రల్) భారతదేశంలో మహా శివరాత్రి
మధ్య (సెంట్రల్) భారతదేశం శివ అనుచరులు పెద్ద సంఖ్యలో ఉంది. మహాకాళేశ్వర్ దేవాలయం, ఉజ్జయినీ పేరున స్వామి శివుడు వేంచేసిన పవిత్ర అత్యంత ప్రాచుర్యం పొందిన దేవాలయాల్లో ఒకటి. ఇక్కడికి శివ భక్తులు పెద్ద సమూహాములతో మహా శివరాత్రి రోజున ప్రార్థనలు చేయడానికి ప్రతి సంవత్సరం చేరుకుంటారు. జబల్పూర్ నగరంలో తిల్వారా ఘాట్ మరియు రెండు ఇతర ప్రదేశాలు అయిన జియోనార గ్రామంలో మఠం ఆలయం, సియోనీ పేరున, పండుగను చాలా మతపరమైన ఆనందంతో జరుపుకుంటారు.
దక్షిణ భారతదేశంలో మహాశివరాత్రి
మహా శివరాత్రి ఆంధ్ర ప్రదేశ్, కర్నాటక, కేరళ, తమిళనాడు అన్ని దేవాలయాలు విస్తృతంగా జరుపుకుంటారు. శివ (మొదటి) ఆది గురువుగా భావిస్తారు. శివుడు నుండి యోగ సంప్రదాయం ఉద్భవించింది. సంప్రదాయం ప్రకారం, మానవ వ్యవస్థలో శక్తి సహజంగా, సైద్ధాంతికంగా ఉంది, ఆ శక్తి పెంపొందేందుకు ఈ రాత్రి శక్తివంతమైన గ్రహ స్థానాలు అటువంటివి ఉన్నాయి. రాత్రి అంతా తెలుసుకుంటూ (జాగరూకత) మరియు మెలుకువగా ఉన్న ఒక వ్యక్తి, శారీరక ప్రయోజనకరంగా మరియు ఆధ్యాత్మికంగా క్షేమాన్నిపొందుతాడు అని చెబుతారు. ఈ రోజు, అటువంటి శాస్త్రీయ సంగీతం మరియు నృత్యం వంటి వివిధ రంగాలలో నుండి కళాకారులు మొత్తం రాత్రి అంతా జాగారం చేస్తారు.
శివుడు ఇతర సంప్రదాయ ఆరాధన
పన్నెండు జ్యోతిర్లింగాలు (కాంతి లింగములు), శివుడు పవిత్రమైన పుణ్యక్షేత్రాలు మరియు ఆయన ఆరాధన కేంద్రాలు ( Temples). ఉన్నాయి. వారు స్వయంభూలింగాలు 'గా పిలుస్తారు. ఈ లింగములు ఈ ప్రాంతాల్లో తమకు తాము పుట్టుకొచ్చాయి అని అర్థం మరియు దేవాలయాలు తర్వాత కట్టబడ్డాయి.
దేవాలయములు
దేవాలయాలు భారతదేశం పర్యాటక మార్గదర్శకాలు జాబితాలలో ఇవ్వబడ్డాయి.
లింగ ఉద్భవ కాలం
మహా శివరాత్రి రోజున, నిషితా కాలం శివ పూజ అనుసరించుటకు అనువైన సమయం. లార్డ్ శివ లింగ రూపంలో భూమి మీద కనిపించింది నిషితా కాలం జరుపుకుంటారు. ఈ రోజున, అన్ని శివాలయాలు లో, అత్యంత పవిత్రమైన లింగోద్భవ పూజ నిర్వహిస్తారు.
లెజెండ్స్
మహా శివరాత్రి శివ మరియు శక్తి యొక్క వివాహం సంబంధం ఉంది.
పురాణములు ప్రకారం ఈ రోజు లార్డ్ శివ యొక్క ఇష్టమైనది అని సూచిస్తుంది మరియు శివుడు కూడా తన గొప్పతనాన్ని యొక్క వెలుగును విసురుతాడు
మరియు అన్ని హిందూ మతం లోని ఇతర దేవీ, దేవతల మీద లార్డ్ శివ తన యొక్క ఆధిపత్యాన్ని (ప్రదర్శించుతాడు) చూపుతాడు.
లార్డ్ శివ 'తాండవం', విశ్వ నృత్యం చేసినప్పుడు, మహా శివరాత్రి రోజున రాత్రి జరుపుకుంటారు.
హాలాహలం సేవనం
సముద్ర మథనం యొక్క మరొక పురాణం ప్రకారం, సముద్ర మథనం యొక్క ఉత్పత్తులలో ఒకటి అయినటు వంటిది హాలాహలం ఉద్భవించింది. శివుడు ఆ హాలాహలం మొత్తం తీసుకోవడంవలన, హాలాహలం యొక్క ఘోరమైన ప్రభావాల నుండి ప్రపంచం మొత్తం రక్షించడం జరిగింది. శివుడు తన యోగ అధికారాల ద్వారా తన గొంతులో హాలాహలం ఖైదు చేయుట వలన అది తన గొంతు కిందకు వెళ్ళలేదు. ఆయన మెడ ఆకారణంగా తన గొంతు హాలాహలం ప్రభావంతో నీలంగా మారినది మరియు ఇక మీదట ఆయన కూడా నీలా కాంతుడు, నీలకంఠం లేదా నీలకంఠుడు అంటారు.
ప్రళయ (ప్రళయం)
ప్రపంచ నాశనం ఎదుర్కొంటున్నకథ ఆ సంబంధంలో దేవత పార్వతి అది కాపాడే నిమిత్తం తన భర్త శివుడు ప్రార్థించారు అని మరో కథనం. లార్డ్ శివ ద్వారా తీసుకురాబడిన ప్రళయం నుండి జీవాలను (నివసిస్తున్న ఆత్మలు) రక్షించేందుకు బంగారం దుమ్ము విత్తనం వంటి కణాలులో మైనపు ముద్దలతో ఉండిపోయేవిధంగా దేవత పార్వతి ప్రార్థించారు.
వివాహం
దేవత పార్వతి మరియు శివుడు వివాహం రోజు శివరాత్రిగా కూడా ఉంది.
శివుడు ఇష్టమైన రోజు
భూమి యొక్క సృష్టి పూర్తి అయిన తరువాత, భక్తులు మరియు ఆచారాలు పాటించేవారు మరియు పార్వతి దేవి కృతజ్ఞతలుతో ఆయన సంతోష పెట్టేందుకు శివుడును కోరారు. అందుకు శివుడు జవాబుగా, అమావాస్య 14 రాత్రి, ఫాల్గున నెలలో కృష్ణ పక్షంలో, తన అభిమాన రోజు అని బదులిచ్చాడు. పార్వతి, ఆమె స్నేహితులకు ఈ పదాలు పునరావృతం చేసింది. వీరిలో నుండి ఆ పదం సృష్టి అంతా వ్యాపించింది.
మహా శివరాత్రి వృత్తాంతం
మహాశివ రాత్రి మహాత్మ్య వృత్తాంతం శివ పురాణములోని విద్యేశ్వర సంహితలో చెప్పబడింది.
గంగా యమునా సంగమ స్థానమైన ప్రయాగలో (నేటి అలహాబాదు) ఋషులు సత్రయాగం చేస్తున్నసమయంలో రోమర్షణమహర్షి అని పేరు గాంచిన సూతమహర్షి అక్కడకు వస్తాడు. ఆలా వచ్చిన సూతమహర్షికి అ ఋషులు నమస్కరించి సర్వోత్తమమైన ఇతిహాస వృత్తాంతాన్ని చెప్పమనగా అతను తన గురువైన వేదవ్యాసుడు తనకు చెప్పిన గాథను వివరించడం ప్రారంభిస్తాడు. ఒకసారి పరాశర కుమారుడైన వ్యాస మహర్షి సరస్వతి నదీ తీరమున ధ్యానం చేస్తుంటాడు. ఆ సమయంలో సూర్యుని వలె ప్రకాశించే విమానంలో సనత్కుమారుడు వెళ్ళుతుంటాడు. దానిని గమనించిన వ్యాసుడు బ్రహ్మ కుమారుడైన సనత్కుమారునకు నమస్కరించి ముక్తిని ప్రసాదించే గాథను తెలుపుమంటాడు.
అప్పుడు మందర పర్వతం మీద బ్రహ్మ కుమారుడైన సనత్ కుమారుడు తనకు, నందికేశ్వరునికి మధ్య జరిగిన సంవాదాన్ని వ్యాసునికి చెప్పగా, వ్యాసుడు సూతునికి చెప్పిన వృత్తాంతాన్ని సత్రయాగంలో ఋషులకు చెబుతాడు. సనత్కుమారుడు నందికేశ్వరుడిని శివుని సాకారమైన మూర్తిగా, నిరాకారుడైన లింగంగా పూజించడానికి సంబంధించిన వృత్తాంతాన్ని చెప్పమంటాడు. దానికి సమాధానంగా నందికేశ్వరుడు ఈ వృత్తాంతాన్ని చెబుతాడు.
బ్రహ్మ, విష్ణువుల యుద్ధం
ఒకప్పుడు ప్రళయ కాలం సంప్రాప్తము కాగా మహాత్ములగు బ్రహ్మ, విష్ణువులు ఒకరితో ఒకరు యుద్ధానికి దిగారు. ఆ సమయంలోనే మహాదేవుడు లింగరూపంగా ఆవిర్భవించాడు. దాని వివరాలు ఇలాఉన్నాయి. ఒకప్పుడు బ్రహ్మ అనుకోకుండా వైకుంఠానికి వెళ్ళి, శేష శయ్యపై నిద్రిస్తున్న విష్ణువును చూసి, "నీవెవరవు, నన్ను చూసి గర్వముతో శయ్యపై పడుకున్నావులే, నీ ప్రభువును వచ్చి ఉన్నాను నన్ను చూడు. ఆరాధనీయుడైన గురువు వచ్చినప్పుడు గర్వించిన మూఢుడికి ప్రాయశ్చిత్తం విధించబడుతుంది " అని అంటాడు. ఆ మాటలు విన్న విష్ణువు బ్రహ్మను ఆహ్వానించి, ఆసనం ఇచ్చి, "నీచూపులు ప్రసన్నంగా లేవేమి?" అంటాడు. దానికి సమాధానంగా బ్రహ్మ "నేను కాలముతో సమానమైన వేగం తో వచ్చాను. పితామహుడను. జగత్తును, నిన్ను కూడా రక్షించేవాడను" అంటాడు. అప్పుడు విష్ణువు బ్రహ్మతో "జగత్తు నాలో ఉంది. నీవు చోరుని వలె ఉన్నావు. నీవే నా నాభిలోని పద్మమునుండి జన్మించినావు. కావున నీవు నా పుత్రుడవు. నీవు వ్యర్థముగా మాట్లాడుతున్నావు" అంటాడు.
ఈ విధంగా బ్రహ్మ విష్ణువు ఒకరితోనొకరు సంవాదము లోనికి దిగి, చివరికి యుద్ధసన్నద్దులౌతారు. బ్రహ్మ హంస వాహనం పైన, విష్ణువు గరుడ వాహనం పైన ఉండి యుద్ధాన్ని ఆరంభిస్తారు. ఈ విధంగా వారివురు యుద్ధం చేస్తూ ఉండగా దేవతలు వారివారి విమానాలు అధిరోహించి వీక్షిస్తుంటారు. బ్రహ్మ, విష్ణువుల మధ్య యుద్ధం అత్యంత ఉత్కంఠతో జరుగుతూ ఉంటే వారు ఒకరి వక్షస్థలం పై మరొకరు అగ్నిహోత్ర సమానమైన బాణాలు సంధించుకొన సాగారు. ఇలా సమరం జరుగుతుండగా, విష్ణువు మాహేశ్వరాస్త్రం, బ్రహ్మ పాశుపతాస్త్రం ఒకరిమీదకు ఒకరు సంధించుకొంటారు. ఆ అస్త్రాలను వారు సంధించిన వెంటనే సమస్త దేవతలకు భీతి కల్గుతుంది. ఏమీ చేయలేక, దేవతలందరు శివునికి నివాసమైన కైలాసానికి బయలు దేరుతారు. ప్రమథగణాలకు నాయకుడైన శివుని నివాసస్థలమైన కైలాసంలో మణులు పొదగబడిన సభా మద్యలో ఉమాసహితుడై తేజస్సుతో విరాజిల్లుతున్న మహాదేవునికి పరిచారికలు శ్రద్ధతో వింజామరలు వీచుతుంటారు. ఈ విధంగా నున్న ఈశ్వరునికి దేవతలు ఆనందబాష్పాలతో శ్హస్త్రంగమ్ ప్రణమిల్లుతారు. అప్పుడు ప్రమథ గణాలచేత శివుడు దేవతలను దగ్గరకు రమ్మని అహ్వానిస్తాడు. అన్ని విషయాలు ఎరిగిన శివుడు దేవతలతో "బ్రహ్మ, విష్ణువుల యుద్ధము నాకు ముందుగానే తెలియును. మీ కలవరము గాంచిన నాకు మరల చెప్పినట్లైనది " అంటాడు. బ్రహ్మ, విష్ణువులకు ప్రభువైన శివుడు సభలో ఉన్న వంద ప్రమథ గణాలను యుద్ధానికి బయలుదేరమని చెప్పి, తాను అనేక వాద్యములతో అలంకారములతో కూడిన వాహనం పై రంగు రంగుల ధ్వజముతో, వింజామరతో, పుష్పవర్షముతో, సంగీతము నాట్యమాడే గుంపులతో, వాద్య సముహంతో, పార్వతీదేవితో బయలుదేరుతాడు. యుద్ధానికి వెళ్ళిన వెంటనే వాద్యాల ఘోషను ఆపి, రహస్యంగా యుద్ధాన్ని తిలకిస్తాడు.మాహేశ్వరాస్త్రం, పాశుపతాస్త్రం విధ్వంసాన్ని సృష్టించబోయే సమయంలో శివుడు అగ్ని స్తంభ రూపంలో ఆవిర్భవించి ఆ రెండు అస్త్రాలను తనలో ఐక్యం చేసుకొంటాడు. బ్రహ్మ, విష్ణువులు ఆశ్చర్య చకితులై ఆ స్తంభం యొక ఆది, అంతం కనుగొనడం కోసం వారివారి వాహనాలతో బయలు దేరుతారు. విష్ణువు అంతము కనుగొనుటకు వరాహరూపుడై, బ్రహ్మ ఆది తెలుసుకొనుటకు హంసరూపుడై బయలుదేరుతారు. ఎంతపోయినను అంతము తెలియకపోవడం వల్ల విష్ణుమూర్తి వెనుకకు తిరిగి బయలుదేరిన భాగానికి వస్తాడు. బ్రహ్మకు పైకి వెళ్ళే సమయంలో మార్గమధ్యంలో కామధేనువు క్రిందకు దిగుతూను, ఒక మొగలి పువ్వు (బ్రహ్మ, విష్ణువు ల సమరాన్ని చూస్తూ పరమేశ్వరుడు నవ్వినప్పుడు ఆయన జటాజూటం నుండి జారినదే ఆ మొగలి పువ్వు) క్రింద పడుతూనూ కనిపించాయి. ఆ రెంటిని చూసి బ్రహ్మ 'నేను ఆది చూశాను అని అసత్యము చెప్పండి. ఆపత్కాలమందు అసత్యము చెప్పడము ధర్మ సమ్మతమే" అని చెప్పి కామధేనువు తోను, మొగలి పువ్వుతోను ఒడంబడిక చేసుకొంటాడు. వాటితో ఒడంబడిక చేసుకొన్న తరువాత బ్రహ్మ తిరిగి స్వస్థానానికి వచ్చి, అక్కడ డస్సి ఉన్న విష్ణువు ని చూసి, తాను ఆదిని చూశానని, దానికి సాక్ష్యం కామధేనువు, మొగలి పువ్వు అని చెబుతాడు. అప్పుడు విష్ణువు ఆ మాటను నమ్మి బ్రహ్మ కి షోడశోపచారా లతో పూజ చేస్తాడు. కాని,శివుడు ఆ రెండింటిని వివరము అడుగగా, బ్రహ్మ స్తంభం ఆదిని చూడడం నిజమేనని మొగలి పువ్వు చెపుతుంది. కామధేనువు మాత్రం నిజమేనని తల ఊపి, నిజం కాదని తోకను అడ్డంగా ఊపింది. జరిగిన మోసాన్ని తెలుసుకున్న శివుడు కోపోద్రిక్తుడైనాడు.మోసము చేసిన బ్రహ్మ ను శిక్షించడంకోసం శివుడు అగ్ని లింగ స్వరూపం నుండి సాకారమైన శివుడి గా ప్రత్యక్షం అవుతాడు. అది చూసిన విష్ణువు, బ్రహ్మ సాకారుడైన శివునకు నమస్కరిస్తారు. శివుడు విష్ణువు సత్యవాక్యానికి సంతసించి ఇకనుండి తనతో సమానమైన పూజా కైంకర్యాలు విష్ణువు అందుకొంటాడని, విష్ణువు కి ప్రత్యేకంగా క్షేత్రాలు ఉంటాయని ఆశీర్వదిస్తాడు.
బ్రహ్మకు శిక్ష మరియు వరము
శివ పురాణం, విద్వేశ్వర సంహితలోని ఏడవ ఎనిమిదవ అధ్యాయములలో ఉన్నదీ విషయం.
ఈశ్వర ఉవాచ
అరాజ భయమేతద్వైజగత్సర్వం నశిష్యతి! తతస్త్వం జహి దండార్హం వహ లోకథురం శిశో!!
వరందదామి తే తత్ర గృహాణ దుర్లభం పరమ్! వైతానికేషు గృహ్యేషు యజ్ఙేషు చ భవాన్గురుః!!
నిష్ఫలస్త్వదృతే యజ్ఙః సాంగశ్చ సహ దక్షిణః! ........
శివుడు బ్రహ్మ గర్వము అణచడానికి తన కనుబొమ్మల నుండి భైరవుడిని సృష్టించి పదునైన కత్తి తో ఈ బ్రహ్మ ను శిక్షించుము అని చెబుతాడు. ఆ భైరవుడు వెళ్లి బ్రహ్మ పంచముఖాల లో ఏ ముఖము అయితే అసత్యము చెప్పిందో ఆ ముఖాన్ని పదునైన కత్తి తో నరికి వేస్తాడు. అప్పుడు మహావిష్ణువు శివుడి వద్దకు వెళ్లి, పూర్వము ఈశ్వర చిహ్నం గా బ్రహ్మ కు ఐదు ముఖాలు ఇచ్చి ఉంటివి. ఈ మొదటి దైవము అగు బ్రహ్మ ను ఇప్పుడు క్షమించుము అన్నాడు. ఆ మాటలు విన్న శివుడు శరణు జొచ్చిన బ్రహ్మను (పిల్లవానిని తప్పుడు చేతకై దండించి తప్పు తెలుసుకొన్న తరువాత కారుణ్యమును ప్రకటించిన తండ్రిలా) ఉద్దేశించి గొప్ప వరమును ప్రసాదించెను. బ్రహ్మని క్షమించి, "ఓ బ్రహ్మా నీకు గొప్పనైన దుర్లభమైన వరమును ఇస్తున్నాను, అగ్నిష్టోమము, దర్శ మొదలగు యజ్ఙములలో నీది గురుస్థానము. ఎవరేని చేసిన యజ్ఙములలో అన్ని అంగములు ఉన్నా అన్నింటినీ సరిగా నిర్వర్తించినా, యజ్ఙనిర్వహణముచేసిన బ్రాహ్మణులకు దక్షిణలు ఇచ్చినా, నీవు లేని యజ్ఙము వ్యర్థము అగును" అని వరమిచ్చెను.
మొగలి పువ్వుకు శాపము
ఆతరువాత కేతకీపుష్పము వైపు చూసి, అసత్యము పల్కిన నీతో పూజలు ఉండకుండా ఉండు గాక అని అనగానే దేవతలు కేతకీపుష్పాన్ని దూరంగా ఉంచారు. దీనితో కలతచెందిన కేతకీపుష్పము పరమేశ్వరుడవైన నిన్ను చూసిన తరువాత కూడా అసత్య దోషము ఉండునా అని మహాదేవుడిని స్తుతించింది.
దానితో ప్రీతి చెందిన శివుడు అసత్యము చెప్పిన నిన్ను ధరించడం జరగదు, కాని కేతకీ పుష్పాన్ని నా భక్తులు ధరిస్తారు. అదేవిధంగా కేతకీ పుష్పము ఛత్ర రూపములో నాపై ఉంటుంది అని చెబుతాడు.
కామధేనువుకు శాపము
అసత్యాన్ని చెప్పిన కామధేనువును కూడా శివుడు శిక్షించదలచాడు. అసత్యమాడినందుకు పూజలు ఉండవని శివుడు కామధేనువుకు శాపమిచ్చాడు. తోకతో నిజం చెప్పాను కనుక క్షమించుమని కామధేనువు శివుని ప్రాధేయపడింది. భోలాశంకరుడు కనుక, కోపమును దిగమ్రింగి, " మొగము తో అసత్యమాడితివి కనుక నీ మొగము పూజనీయము కాదు; కాని సత్యమాడిన నీ పృష్ఠ భాగము పునీతమై, పూజలనందుకొనును" అని శివుడు వాక్రుచ్చెను. అప్పటి నుండి గోముఖము పూజార్హము కాని దైనది; గోమూత్రము, గోమయము, గోక్షీరములు పునీతములైనవై, పూజా, పురస్కారములలో వాడబడుచున్నవి.
మహాశివరాత్రి వ్రత కథ
ఒకనాడు కైలాసపర్వత శిఖరముపై పార్వతీపరమేశ్వరులు సుఖాసీనులై ఉండగా పార్వతి శివునితో అన్ని వ్రతములలోను ఉత్తమమగు వ్రతమును భక్తి ముక్తి ప్రదాయకమైన దానిని తెలుపమని కోరెను. అప్పుడు శివుడు శివరాత్రి వ్రతమనుదాని విశేషాలను తెలియజేస్తాడు. దీనిని మాఘబహుళచతుర్దశి నాడు ఆచరించవలెనని, తెలిసికాని, తెలియకగాని ఒక్కమారు చేసినను యముని నుండి తప్పుంచుకొని ముక్తి పొందుదురని దాని దృష్టాంతముగా ఈ క్రింది కథను వినిపించెను.[4]
ఒకప్పుడు ఒక పర్వతప్రాంతమున హింసావృత్తిగల వ్యాధుడొకడు వుండెను. అతడు ప్రతి ఉదయం అడవికి వేటకు వెళ్ళి సాయంత్రం ఏదేని మృగమును చంపి తెచ్చుచు కుటుంబాన్ని పోషించేవాడు. కానీ ఒకనాటి ఉదయమున బయలుదేవి అడవియంతా తిరిగినా ఒక్క మృగము కూడా దొరకలేదు. చీకటిపడుతున్నా ఉత్తచేతులతో ఇంటికి వెళ్ళడానికి మనస్కరించక వెనుతిరిగెను. దారిలో అతనికొక తటాకము కనిపించెను. ఏవైనా మృగాలు నీరు త్రాగుట కోసం అచ్చటికి తప్పకుండా వస్తాయని వేచియుండి వాటిని చంపవచ్చునని ఆలోచించి దగ్గరనున్న ఒక చెట్టెక్కి తన చూపులకు అడ్డముగా నున్న ఆకులను, కాయలను విరిచి క్రింద పడవేయసాగెను. చలికి "శివ శివ" యని వణుకుచూ విల్లు ఎక్కిపెట్టి మృగాల కోసం వేచియుండెను.
మొదటిజామున ఒక పెంటిలేడి నీరు త్రాగుటకు అక్కడికి వచ్చెను. వ్యాధుడు దానిపై బాణము విడువబోగా లేడి భయపడక "వ్యాధుడా! నన్ను చంపకుము" అని మనుష్యవాక్కులతో ప్రార్థించెను. వ్యాధుడు ఆశ్చర్యపడి మనుష్యులవలె మాట్లాడు నీ సంగతి తెలుపుమని కోరెను. దానికి జింక "నేను పూర్వజన్మమున రంభయను అప్సరసను. హిరణ్యాక్షుడను రాక్షసరాజును ప్రేమించి శివుని పూజించుట మరచితిని. దానికి రుద్రుడు కోపించి కామాతురయైన నీవు, నీ ప్రియుడును జింకలుగా పన్నెండేళ్లు గడిపి ఒక వ్యాధుడు బాణముతో చంపనుండగా శాపవిముక్తులౌదురని సెలవిచ్చెను. నేను గర్భిణిని, అవధ్యను కనుక నన్ను వదలుము. మరొక పెంటిజింక ఇచటికి వచ్చును. అది బాగుగా బలిసినది, కావున దానిని చంపుము. లేనిచో నేను వసతికి వెళ్ళి ప్రసవించి శిశువును బంధువుల కప్పగించి తిరిగివస్తాను" అని అతన్ని వొప్పించి వెళ్ళెను.
రెండవజాము గడిచెను. మరొక పెంటిజింక కనిపించెను. వ్యాధుడు సంతోషించి విల్లెక్కుపెట్టి బాణము విడువబోగా అదిచూచిన జింక భయపడి మానవవాక్కులతో "ఓ వ్యాధుడా, నేను విరహముతో కృశించియున్నాను. నాలో మేదోమాంసములు లేవు. నేను మరణించినా నీ కుటుంబానికి సరిపోను. ఇక్కడికి అత్యంత స్థూలమైన మగజింక యొకటి రాగలదు. దానిని చంపుము, కానిచో నేనే తిరిగివత్తును" అనెను. వ్యాధుడు దానిని కూడా విడిచిపెట్టెను.
మూడవజాము వచ్చెను. వ్యాధుడు ఆకలితో జింక కోసం వేచియుండెను. అంతలో ఒక మగజింక అక్కడికి వచ్చెను. వింటితో బాణము విడువబోగా ఆ మృగము వ్యాధుని చూచి మొదటి రెండు పెంటి జింకలు తన ప్రియురాలుల్ని తానే చంపెనా అని ప్రశ్నించెను. అందుకు వ్యాధుడు ఆశ్చర్యపడి రెండు పెంటిజింకలు మరలివచ్చుటకు ప్రతిజ్ఞచేసి వెళ్ళినవి, నిన్ను నాకు ఆహారముగా పంపుతాయని చెప్పాయని అన్నాడు. ఆ మాట విని "నేను ఉదయాన్నే మీ ఇంటికి వచ్చెదను నా భార్య ఋతుమతి. ఆమెతో గడిపి బంధుమిత్రుల అనుజ్ఞపొంది మరలివత్తును అని ప్రమాణములు చేసి వెళ్ళెను.
ఇట్లు నాలుగు జాములు గడిచి సూర్యోదయ సమయంలో వ్యాధుడు జింకల కొరకు ఎదురుచూచుచుండెను. కొంతసేపటికి ఆ నాలుగు జింకలును వచ్చి నన్ను మొదట చంపుము, నన్నే మొదట చంపుమని అనుచు వ్యాధుని ఎదుట మోకరిల్లెను. అతడు మృగముల సత్యనిష్టకు ఆశ్చర్యపడెను. వానిని చంపుటకు అతని మనసు ఒప్పలేదు. తన హింసావృత్తిపై జుగుప్స కలిగెను. "ఓ మృగములారా ! మీ నివాసములకు వెళ్ళుము. నాకు మాంసము అక్కరలేదు. మృగములను బెదరించుట, బంధించుట, చంపుట పాపము. కుటుంబము కొరకు ఇక నేనా పాపము చేయను. ధర్మములకు దయ మూలము. దమయు సత్యఫలము. నీవు నాకు గురువు, ఉపదేష్టవు. కుటుంబ సమేతముగా నీవు వెళ్ళుము. నేనిక సత్యధర్మము నాశ్రయించి అస్త్రములను వదలిపెట్టుదును." అని చెప్పి ధనుర్బాణములను పారవేసి మృగములకు ప్రదక్షిణ మాచరించి నమస్కరించెను.
అంతలో ఆకాశమున దేవదుందుభులు మ్రోగెను. పుష్పవృష్టి కురిసెను. దేవదూతలు మనోహరమగు విమానమును తెచ్చి యిట్లనిరి: ఓ మహానుభావా. శివరాత్రి ప్రభావమున నీ పాతకము క్షీణించింది. ఉపవాసము, జాగరమును జరిపితివి, తెలియకయే యామ, యామమునను పూజించితివి, నీవెక్కినది బిల్వవృక్షము. దానిక్రింద స్వయంభూలింగమొకటి గుబురులో మరుగుపడి యున్నది. నీవు తెలియకయే బిల్వపత్రముల త్రుంచివేసి శివలింగాన్ని పూజించితివి. సశరీరముగా స్వర్గమునకు వెళ్ళుము. మృగరాజా! నీవు సకుటుంబముగా నక్షత్రపదము పొందుము."
ఈ కథ వినిపించిన పిదప పరమేశ్వరుడు పార్వతితో నిట్లనెను: దేవీ! ఆ మృగకుటుంబమే ఆకాశమున కనిపించు మృగశిర నక్షత్రము. మూడు నక్షత్రములలో ముందున్న రెండూ జింకపిల్లలు, వెనుకనున్న మూడవది మృగి. ఈ మూడింటిని మృగశీర్ష మందురు. వాని వెనుక నుండు నక్షత్రములలో ఉజ్జ్వలమైనది లుబ్ధక నక్షత్రము.
శివరాత్రి పూజా విధానాలు
ఆ తరువాత బ్రహ్మ, విష్ణువు ఆదిగా గల దేవతలు శివుడిని ధూపదీపాలతో అర్చించారు. దీనికి మెచ్చి శివుడు అక్కడి వారితో "మీరీనాడు చేసిన పూజకు సంతసించితిని. ఈ రోజు నుండి నేను అవతరించిన ఈ తిథి శివరాత్రి పర్వదినముగా ప్రసిద్ధి చెందుతుంది.
ఈ రోజున ఉపవాసము చేసి భక్తితో నన్ను లింగ రూపముగా, సాకార రూపముగా ఎవరు అర్చిస్తారో వారికి మహాఫలము కలుగుతుంది" అని చెబుతాడు. తాను ఈ విధంగా అగ్నిలింగరూపముగా ఆవిర్భవించిన ప్రదేశము అరుణాచలముగా ప్రసిద్ధిచెంద గలదని చెబుతాడు.
జాగరణము
జాగరణము అనగా ప్రకృతిలో నిద్రాణమైయున్న శివశక్తిని, శివపూజా భజన లీలా శ్రవణాదులతో మేల్కొలిపి, తాను శివుడై, సర్వమును శివస్వరూపముగా భావించి, దర్శించుటయే నిజమైన జాగరణము. అప్పుడు శివపూజలో సాయుజ్యము, శివభజనలో సామీప్యము, శివభక్తులతో కూడి, శివ విషయములు ప్రసంగించుటలో సలోక్యము, శివధ్యానములో సారూప్యము సిద్ధించునని ఆదిశంకరాచార్యులు మాట ప్రత్యక్ష సత్యమగును. ఈ నాలుగింటిని శివరాత్రి నాడు ప్రత్యక్షముగా సాధించుటయే శివరాత్రి జాగరణము. జాగరణ దినమున UUపవాసము ఉంటారు.
ఈ జాగరణ సమయంలో తామున్న గృహ ఆవరణలోనో, తమ స్వంత పంటపొలాల్లోనో అక్కడి మట్టితో అక్కడే శివలింగాన్ని తయారుచేస్తూ జాముకొక శివలింగం తయారుచేసి పూజిస్తారు. సుభమ్
రుద్రాభిషేకం
వేదాలలోనుండి ప్రత్యేకమైన మంత్రాలను రుద్ర సూక్తంగా పండితులచే పఠించబడుతుంది. దీనిని శివలింగానికి ప్రాతఃకాలంలో పవిత్రస్నానం చేయిస్తారు. దీనినే రుద్రాభిషేకం అంటారు. శివలింగంతో బాటు గండకీ నదిలో మాత్రమే లభించే సాలిగ్రామం కూడా పూజలందుకుంటుంది. దీనిద్వారా మనసులోని మలినాల్ని తొలగించుకోవడమే ఇందులోని పరమార్ధం.
పంచాక్షరి మంత్రం
పంచాక్షరి మంత్రం శివస్తోత్రాలలో అత్యుత్తమమైనది. ఈ మంత్రంలోని పంచ అనగా అయిదు అక్షరాలు "న" "మ" "శి" "వా" "య" (ఓం నమశ్శివాయ) నిరంతరం భక్తితో ఈనాడు పఠిస్తే శివసాయుజ్యం ప్రాప్తిస్తుంది.
మహామృత్యుంజయ మంత్రం
మహామృత్యుంజయ మంత్రం ఋగ్వేదం (7.59.12)లోని ఒక మంత్రము. దీనినే "త్రయంబక మంత్రము", "రుద్ర మంత్రము", "మృత సంజీవని మంత్రము" అని కూడా అంటారు. ఇదే మంత్రం యజుర్వేదం (1.8.6.i; 3.60)లో కూడా ఉంది. ఈ మంత్రాన్ని మృత్యుభయం పోగొట్టుకోవడానికి, మోక్షం కొరకు జపిస్తారు.
ఓం త్ర్యంబకం యజామహే
సుగంధిం పుష్టి వర్ధనం
ఊర్వారుకమివ బంధనాత్
మృత్యోర్ముక్షీయ మామృతాత్
శివసహస్రనామస్తోత్రం
శివసహస్రనామ స్తోత్రములోని వేయి నామాలు శివుని గొప్పదనాన్ని వివరిస్తాయి.
ఇవి కూడా చూడండి
శివాలయం
ద్వాదశ జ్యోతిర్లింగాలు
శివ డోలోత్సవం
కోటప్ప కొండ
కీసరగుట్ట
మూలాలు
బయటి లింకులు
వర్గం:హిందువుల పండుగలు
వర్గం:హిందూ మతము
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%AE%E0%B0%B9%E0%B0%BE%E0%B0%B6%E0%B0%BF%E0%B0%B5%E0%B0%B0%E0%B0%BE%E0%B0%A4%E0%B1%8D%E0%B0%B0%E0%B0%BF |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
7055,
7446,
7821,
8039,
9002,
9218,
9560,
9723,
10171,
10301,
10657,
10892,
11200,
11451,
11802,
12060,
12527,
12934,
13291,
13706,
14047,
14391,
14741,
15466,
15895,
16226,
16596,
16803,
17507,
17716,
18086,
18375,
18655,
18902,
19174,
19382,
19852,
20026,
20605,
20845,
21274,
21746,
22065,
22541,
23043,
23325,
23700,
24037,
25166,
25404,
25791,
25984,
26268,
27090,
27562,
27892,
28085,
28331,
29008,
29114,
29367
],
"plaintext_end_byte": [
6961,
7202,
7820,
8038,
9001,
9217,
9559,
9722,
10170,
10300,
10656,
10891,
11199,
11450,
11801,
12059,
12526,
12933,
13290,
13705,
14046,
14390,
14740,
15465,
15894,
16225,
16595,
16802,
17506,
17715,
18085,
18374,
18654,
18901,
19173,
19381,
19851,
20025,
20604,
20844,
21273,
21745,
22064,
22540,
23042,
23324,
23699,
24036,
25165,
25403,
25790,
25983,
26267,
26994,
27561,
27782,
28084,
28330,
29007,
29113,
29254,
29527
]
} | 2014 నాటికి గుంటూరు జిల్లా కలెక్టర్ ఎవరు ? | జిల్లా | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
జిల్లా భారతదేశంలో ఒక రాష్ట్రస్థాయి పాలనా విభాగం. ప్రతి రాష్ట్రాన్ని పరిపాలనా సౌలభ్యం కొరకు కొన్ని జిల్లాలుగా విభజించారు.ప్రతి జిల్లాకు ఒక ఐ.ఏ.యస్. అధికారి కలెక్టర్ గా ఉంటాడు. దేశంలో 545 లోక్ సభ సభ్యులున్నారు. అంటే కొన్ని రాష్ట్రాల్లో పార్లమెంటు నియోజకవర్గాల కన్నా జిల్లాల సంఖ్య ఎక్కువగా ఉందన్నమాట. ఆంధ్రప్రదేశ్లో మాత్రం పార్లమెంటు నియోజకవర్గాల (42) కంటే జిల్లాలు (23) తక్కువగా ఉన్నాయి.1983 లో దేశం లోని జిల్లాల సంఖ్య 418.2015 లో 678.2016 అక్టోబరులో తెలంగాణాలో ఒక్కసారే 21 కొత్తజిల్లాలు ఏర్పాటయ్యాయి.జిల్లా కేంద్రం అంటే జిల్లా అభివృద్ధికి కేంద్రం. సాధారణంగా రాజధాని చుట్టూ అభివృద్ధి కేంద్రీకృతం అవుతుంది.జిల్లా కేంద్రం చూట్టూ అభివృద్ధి కేంద్రీకృతం అవుతుంది. 111 ఏళ్ల తరువాత తెలంగాణాలో జిల్లాల పునర్వ్యవస్థీకరణ జరిగింది. సరిగ్గా 111 సంవత్సరాల సుదీర్ఘ కాలంలో జిల్లాలను పునర్వ్యవస్థీకరించాలనే ఆలోచనే పాలకులకు రాలేదు. 1905లో ఆరవ నిజాం మీర్ మహబూబ్ అలీఖాన్ కాలంలో జిల్లాల పునర్వ్యవస్థీకరణ జరిగింది. 1953లో ఏర్పడిన ఖమ్మం జిల్లా 1978లో ఏర్పడిన రంగారెడ్డి జిల్లా మినహాయిస్తే, మిగిలిన తెలంగాణలోని జిల్లాలన్నీ 111 సంవత్సరాల క్రితం ఏర్పడినవే.
తెలంగాణలో కొత్త జిల్లాల ఏర్పాటు ప్రభావం ఆంధ్రపై కూడా పడుతుంది. సంఖ్య పరంగా ఆంధ్రప్రదేశ్ ఇప్పుడు దేశంలోని అన్ని రాష్ట్రాల కన్నా కింది నుంచి మూడవ స్థానంలో ఉత్తరాఖండ్ సరసన ఉంటుంది. ఆంధ్రలో ఉభయ గోదావరి జిల్లాలకు జిల్లా కేంద్రాలు ఒక మూలన ఉంటాయి. బ్రిటీష్ కాలంలో నౌకాశ్రయాలను దృష్టిలో పెట్టుకుని జిల్లా కేంద్రాలను నిర్ణయించారు. ఆంధ్ర రాష్ట్ర పాలన విజయవాడ నుంచి సాగుతోంది. విజయవాడ జిల్లా కేంద్రం కూడా కాదు. ఓడరేవు వల్ల బందరును జిల్లా కేంద్రం చేశారు. బ్రిటీష్ కాలం నాటి జిల్లాల స్వరూపం అదే విధంగా కొనసాగుతోంది. జిల్లాల సంఖ్య పెరిగితే అధికార వికేంద్రీకరణ జరుగుతుంది. తిరుపతి జిల్లా కేంద్రం కాదు. రాజమండ్రి జిల్లా కేంద్రం కాదు. జిల్లా కేంద్రం కాకముందే వాటికి చారిత్రక ప్రాధాన్యత ఉంది.కొత్త జిల్లాల కోసం కొన్ని దశాబ్దాల నుంచి ప్రజల ఏదో ఒక రూపంలో ఆందోళన చేస్తూనే ఉన్నారు.ఉమ్మడి ఆంధ్రప్రదేశ్లో 23 జిల్లాలు ఉంటే తెలంగాణ కన్నా చిన్నదైన అస్సాంలో 35 జిల్లాలు ఉన్నాయి.తెలంగాణాలో పాలనా వ్యవస్థలో భారీ అధికార వికేంద్రీకరణ జరిగింది.38 ఏళ్ల తర్వాత 21 కొత్త జిల్లాలతో రాష్ట్రంలో జిల్లాల సంఖ్య 31కి చేరింది. 21 జిల్లాలు, 25 రెవెన్యూ డివిజన్లు, 125 మండలాలు ఉనికిలోకి వచ్చాయి. దీంతో రాష్ట్రంలో మొత్తం జిల్లాల సంఖ్య 31కి, రెవెన్యూ డివిజన్లు 68కి, మండలాలు 584కి పెరిగాయి.ఈ జిల్లాల పునర్విభజనను చాలా మంది 1980లలో ఎన్టీఆర్ మండల వ్యవస్థతో పోలుస్తున్నారు.జిల్లాల పరమార్థం అభివృద్ధి వికేంద్రీకరణే.జిల్లా యూనిట్గా కేంద్రంనుంచి రావాల్సిన నిధులు పెరిగి, అవి నూతన అభివృద్ధి కేంద్రాలుగా రాణిస్తాయి.కొత్త జిల్లాలతో ప్రజలకు దూరాభారాలు, వ్యయప్రయాసలు తగ్గి త్వరితంగా పనులు పూర్తి చేసుకోగలుగుతారు. ప్రజలకు ప్రయాణ చార్జీలు తగ్గుతాయి. జిల్లాల సంఖ్య పెరుగుదలతో ఉద్యోగుల సంఖ్య పెంచవల్సి వస్తుంది.అది ఉపాధి అవకాశాలు పెంచుతుంది.
రాష్ట్రాలు
కేంద్రపాలిత ప్రాంతాలు
మొత్తం జిల్లాలు = 678 || మొత్తం పార్లమెంటు నియోజక వర్గాలు 543
తెలంగాణా లో కొత్త జిల్లాలు రెవిన్యూ డివిజన్లు మండలాలు
జిల్లా రెవెన్యూ డివిజన్లు మండలాలు
కరీంనగర్ కరీంనగర్, కరీంనగర్, కొత్తపల్లి, కరీంనగర్రూరల్, మానకొండూరు, తిమ్మాపూర్, గన్నేరువరం, గంగాధర, రామడుగు, చొప్పదండి, చిగురుమామిడి
హుజూరాబాద్ 2 వీణవంక, వి.సైదాపూర్, శంకరపట్నం, హుజురాబాద్, జమ్మికుంట, ఇల్లంతకుంట
రాజన్న ( సిరిసిల్ల) సిరిసిల్ల 1 సిరిసిల్ల, తంగళ్లపల్లి (సిరిసిల్ల రూరల్) గంభీరావుపేట, ఎల్లారెడ్డిపేట, వీర్నపల్లి, ముస్తాబాద్, వేములవాడ, వేములవాడరూరల్, చందుర్తి, రుద్రంగి, కోనరావుపేట, బోయినపల్లి, ఇల్లంతకుంట
జగిత్యాల జగిత్యాల జగిత్యాల, జగిత్యాల రూరల్, రాయికల్, సారంగాపూర్, బీర్పూర్, ధర్మపురి, బుగ్గారం, పెగడపల్లి, గొల్లపల్లి, మల్యాల, కొడిమ్యాల, వెల్గటూరు
మెట్ పల్లి 2 కోరుట్ల, మెట్పల్లి, మల్లాపూర్, ఇబ్రహీంపట్నం, మేడిపల్లి, కథలాపూర్
పెద్దపల్లి పెద్దపల్లి పెద్దపల్లి, ఓదెల, సుల్తానాబాద్, జూలపల్లి, ఎలిగేడు, ధర్మారం, రామగుండం, అంతర్గాం, పాలకుర్తి, శ్రీరాంపూర్
మంధని 2 కమాన్పూర్, రామగిరి (సెంటినరీకాలనీ), మంథని, ముత్తారం
ఆదిలాబాద్ ఆదిలాబాద్ ఆదిలాబాద్ అర్బన్, ఆదిలాబాద్ రూరల్, మావల, గుడిహత్నూరు, బజార్ హత్నూరు బేల, బోథ్, జైనథ్, తాంసి, భీమ్పూర్, తలమడుగు, నేరడిగొండ, ఇచ్ఛోడ, సిరికొండ
ఉట్నూరు 2 ఇంద్రవెల్లి, నార్నూరు, గడిగూడ, ఉట్నూరు
మంచిర్యాల మంచిర్యాల చెన్నూరు, జైపూర్, బీమారం, కోటపల్లి, లక్సెట్టిపేట, మంచిర్యాల, నాస్పూర్, హాజీపూర్, మందమర్రి, దండేపల్లి, జన్నారం
బెల్లంపల్లి 2 కాసిపేట, బెల్లంపల్లి, వేమన్పల్లి, నెన్నెల్, తాండూరు, భీమిని, కన్నెపల్లి
ఆసిఫాబాద్ (కొమరం భీమ్ ) ఆసిఫాబాద్ సిర్పూర్ (యూ), లింగాపూర్, జైనూరు, తిర్యాణి,. ఆసిఫాబాద్, కెరామెరి, వాంకిడి, రెబ్బన
కాగజ్ నగర్ 2 పెంచికల్పేట, బెజ్జూరు, కాగజ్నగర్, కౌటాల, చింతలమానిపల్లి, దహేగాం, సిర్పూర్ (టీ)
నిర్మల్ నిర్మల్ నిర్మల్ రూరల్, నిర్మల్ అర్బన్, సోన్, దిలావర్పూర్, నర్సాపూర్, కడెంపెద్దూర్, దస్తూరాబాద్, ఖానాపూర్, మామడ,
లక్ష్మణ్చాంద, సారంగపూర్, పెంబి
"
భైంసా 2 కుబీర్, కుంటాల, భైంసా, ముథోల్, బాసర, లోకేశ్వరం, తానూరు
సంగారెడ్డి సంగారెడ్డి సంగారెడ్డి, కంది, కొండాపూర్, సదాశివపేట, పటాన్చెరు, అమీన్పూర్, రామచంద్రాపురం, జిన్నారం, గుమ్మడిదల, పుల్కల్, ఆందోల్, వట్పల్లి, మునిపల్లి, హత్నూరా
జహీరాబాద్ జహీరాబాద్, మొగడంపల్లి, న్యాలకల్, జరాసంఘం, కోహిర్ రాయికోడ్
నారాయణఖేడ్ 3 నారాయణఖేడ్, కంగ్టి, కల్హేర్, సిర్గాపూర్, మానూరు, నాగిల్గుడ్డ
సిద్ధిపేట సిద్ధిపేట సిద్దిపేట అర్బన్, రూరల్, నంగునూరు, చిన్నకోడూరు, తొగుట, దౌల్తాబాద్, మిర్దొడ్డి, దుబ్బాక, చేర్యాల కొమురవెళ్లి
గజ్వేలు గజ్వేల్, జగదేవ్పూర్, కొండపాక, ములుగు, మర్కూక్, వర్గల్, రాయపోలు
హుస్నాబాద్ 3 హుస్నాబాద్ అర్బన్, రూరల్ (అక్కన్నపేట), కోహెడ, బెజ్జంకి, మద్దూరు
మెదక్ మెదక్ మెదక్, హవేలి ఘనాపూర్, పాపన్నపేట, శంకరంపేట రూరల్, శంకరంపేట (ఎ), టేక్మల్, అల్లాదుర్గం, రేగొడు, రామాయంపేట, నిజాంపేట
తూప్రాన్ ఎల్దుర్తి, చేగుంట, తూప్రాన్, మనోహరాబాద్, నార్సింగి
నర్సాపూర్ 3 నర్సాపూర్, కౌడిపల్లి, కుల్చారం, చిల్పచెడ్, శివంపేట
నల్గొండ నల్గొండ చందూరు, చిట్యాల, కనగల్, కట్టంగూరు, మునుగోడు, నకిరేకల్, నల్గొండ, నార్కెట్పల్లి, తిప్పర్తి, కేతెపల్లి, శాలిగౌరారం
మిర్యాలగూడ దామెరచర్ల, మిర్యాలగూడ, వేములపల్లి, అనుముల (హాలియా, నిడమనూరు, పెద్దవూర, త్రిపురారం, మాడుగులపల్లి, తిరుమలగిరి, సాగర్, అడవిదేవులపల్లి
దేవరకొండ 3 చందంపేట్, చింతపల్లి, దేవరకొండ, గుండ్లపల్లి, గుర్రంపోడు, కొండమల్లెపల్లి, మర్రిగూడ, నాంపల్లి, పీఏపల్లి, నేరెడిగొమ్ము
సూర్యాపేట సూర్యాపేట ఆత్మకూరు, చీవేముల, జేజేగూడెం, నూతన్కల్, టెన్పహాడ్, సూర్యాపేట, తిరుమలగిరి, తుంగతుర్తి, గారడిపల్లి, నేరెడుచర్ల, నాగారం, మద్దిరాల, పాలకీడు
కోదాడ 2 చిల్కూరు, హుజుర్నగర్, కోదాడ, మఠంపల్లి, మేళ్లచెరువు, మోతె, మునగాల, నడిగూడెం, అనంతగిరి, చింతలపాలెం (మల్లారెడ్డిగూడెం)
యాదాద్రి భువనగిరి ఆలేరు, రాజాపేట, మోతుకూరు, తుర్కపల్లి, యాదగిరిగుట్ట, భువనగిరి, బీబీనగర్, బొమ్మలరామారం, ఆత్మకూరు, అడ్డగూడూరు, మోటకొండూరు
చౌటుప్పల్ 2 భూదాన్పోచంపల్లి, రామన్నపేట, వలిగొండ, చౌటుప్పల్, నారాయణ్పూర్
వరంగల్లు (పట్టణ) వరంగల్ పట్టణం 1 వరంగల్, ఖిలావరంగల్, హన్మకొండ, ఖాజీపేట, ఐనవోలు, హసన్పర్తి, వేలేరు, ధర్మసాగర్, ఎల్కతుర్తి, భీమదేవరపల్లి, కమలాపూర్
వరంగల్లు (గ్రామీణ) వరంగల్లు (గ్రామీణ) రాయపర్తి, వర్దన్నపేట, పరకాల, ఆత్మకూరు, శాయంపేట, గీసుగొండ, సంగెం, పర్వతగిరి, దామెర
నర్సంపేట 2 నర్సంపేట, చెన్నారావుపేట, నల్లబెల్లి, దుగ్గొండి, ఖానాపురం, నెక్కొండ
భూపాలపల్లి (జయశంకర్) భూపాలపల్లి భూపాలపల్లి, ఘన్పూర్, రేగొండ, మొగుళ్లపల్లి, చిట్యాల, టేకుమట్ల, మల్హర్, కాటారం, మహదేవ్పూర్, మహాముత్తారం
ములుగు 2 ములుగు, వెంకటాపూర్, గోవిందరావుపేట, తాడ్వాయి, ఏటూరునాగారం, కన్నాయిగూడెం, మంగపేట, వాజేడు, వెంకటాపురం
మహబూబాబాద్ మహబూబాబాద్ మహబూబాబాద్, కురవి, కేసముద్రం, డోర్నకల్, గూడూరు, కొత్తగూడ, గంగారం, బయ్యారం, గార్ల
తొర్రూరు 2 చిన్నగూడూరు, దంతాలపల్లి, తొర్రూరు, పెద్దవంగర, నెల్లికుదురు, మరిపెడ, నర్సింహులపేట
జనగాం జనగామ జనగాం, లింగాలఘనపురం, బచ్చన్నపేట, దేవరుప్పుల, నర్మెట్ట, తరిగొప్పుల, రఘునాథ్పల్లి, గుండాల
స్టేషన్ ఘనపూర్ 2 స్టేషన్ఘన్పూర్, చిల్పూరు, జఫర్గడ్, పాలకుర్తి, కొడకండ్ల
ఖమ్మం ఖమ్మం ఖమ్మం అర్బన్, ఖమ్మంరూరల్, తిరుమలాయపాలెం, కూసుమంచి, బోనకల్లు, చింతకాని, ముదిగొండ, కొణిజెర్ల, సింగరేణి, కామెపల్లి, రఘునాథపాలెం, మధిర, ఎర్రుపాలెం, నేలకొండపల్లి, వైరా
కల్లూరు 2 సత్తుపల్లి, వేమూరు, పెనుబల్లి, కల్లూరు, తల్లాడ, ఎన్కూరు,
కొత్తగూడెం (భద్రాద్రి) కొత్తగూడెం కొత్తగూడెం, పాల్వంచ, టేకులపల్లి, ఇల్లందు, చంద్రుగొండ, అశ్వరావుపేట, ముల్కలపల్లి, దమ్మపేట, గుండాల, సుజాతానగర్, చుంచుపల్లి, లక్ష్మిదేవిపల్లి, ఆళ్లపల్లి, అన్నపురెడ్డిపల్లి, జూలూరుపాడు
భద్రాచలం 2 భద్రాచలం, దుమ్ముగూడెం, చర్ల, బూర్గంపహాడు, అశ్వాపురం, మణుగూరు, పినపాక, కర్కగూడెం
నిజామాబాద్ నిజామాబాద్ నిజామాబాద్ దక్షిణ, నిజామాబాద్ ఉత్తర, నిజామాబాద్ రూరల్, మొగ్పాల్, డిచ్పల్లి, ధర్పల్లి, ఇందల్వాయి, జక్రాన్పల్లి, సిరికొంద, నవీపేట
ఆర్మూరు ఆర్మూరు, బాల్కొండ, మెండోరా, కమ్మర్పల్లి, వేల్పూరు, మోర్తాడ్, భీమ్గల్, మాక్లూర్, నందిపేట, ముప్కాల్, ఎరగట్ల
బోధన్ 3 బోధన్, ఎడపల్లి, రెంజల్, కోటగిరి, వర్ని, రుద్రూరు
కామారెడ్డి కామారెడ్డి కామారెడ్డి, భిక్కనూరు, రాజంపేట, దోమకొండ, బీబీపేట, మాచారెడ్డి, రామారెడ్డి, సదాశివనగర్, తాడ్వాయి
బాన్సువాడ బాన్స్వాడ, బీర్కూరు, బిచ్కుంద, జుక్కల్, మద్నూరు, నిజాంసాగర్, పిట్లం, పెద్దకొడుపుగల్, నస్రుల్లాబాద్
ఎల్లారెడ్డి 3 ఎల్లారెడ్డి, నాగిరెడ్డిపేట, లింగంపేట, గాంధారి
మహబూబ్ నగర్ మహబూబ్ నగర్ మూసాపేట, భూత్పూరు, హన్వాడ, కోయిల్కొండ, మహబూబ్నగర్ అర్బన్, రూరల్, నవాబుపేట, జడ్చర్ల, బాలానగర్, రాజాపూర్, గండేడ్, దేవరకద్ర, మిడ్జిల్, చిన్నచింతకుంట, అడ్డకల్
నారాయణపేట 2 నారాయణపేట, దామరగిద్ద, ధన్వాడ, మరికల్, కోస్గి, మద్దూరు, ఉట్కూరు, నార్వ, మగనూర్, కృష్ణా, మక్తల్
నాగర్ కర్నూలు నాగర్ కర్నూలు బిజినెపల్లి, నాగర్కర్నూలు, పెద్దకొత్తపల్లి, తేల్కపల్లి, తిమ్మాజీపేట, తాడూరు, కొల్లాపూర్, పెంట్లవేలి, కోడూరు
కల్వకుర్తి కల్వకుర్తి, వూరుకొండ, వెలిదండ, వంగూరు, చరకొండ
అచ్చంపేట 3 అచ్చంపేట, అమ్రాబాద్, పాదర, బాల్మూరు, లింగాల్, ఉప్పునూతల
వనపర్తి వనపర్తి 1 వనపర్తి, గోపాల్పేట, పెద్దమందడి, ఘన్పూర్, కొత్తకోట, వీవనగండ్ల, పనగల్, పెబ్బేరు, ఆత్మకూరు, అమరచింత, మదనాపూర్, రెవెల్లి, చిన్నంబావి, శ్రీరంగాపూర్
గద్వాల (జోగులాంబ) గద్వాల 1 గద్వాల, మల్దకల్, ధరూర్, గట్టు, కేటీ దొడ్డి, ఐజ, ఇటిక్యాల, మనోపాడు, వడ్డెపల్లి, రాజోలి, ఆలంపూర్, ఉండవల్లి
వికారాబాద్ వికారాబాద్ మర్పల్లి, మోమిన్పేట, వికారాబాద్, ధారూర్, బంట్వారం, కోటపల్లి, నవాబ్పేట, దోమ, పుల్కచర్ల, పరిగి, పొద్దూరు
తాండూరు 2 పెద్దేముల్, తాండూరు, బషీరాబాద్, ఏలాల్, కొడంగల్, బొమ్మరాస్పేట, దౌల్తాబాద్
మేడ్చల్ (మల్కాజ్ గిరి) మల్కాజ్ గిరి మల్కాజ్గిరి, అల్వాల్, కుత్బుల్లాపూర్, దుండిగల్, గండిమైసమ్మ, బాచుపల్లి (నిజాంపేట), బాలానగర్, కూకట్పల్లి
కీసర 2 ఉప్పల్, కీసర, ఘట్కేసర్, మేడిపల్లి, శామీర్పేట, కాప్రా, మేడ్చల్
రంగారెడ్డి (శంషాబాద్) కందుకూరు కందుకూరు, మహేశ్వరం, బాలాపూర్, సరూర్నగర్, అమన్గల్, కడ్తాల, తలకొండపల్లి
ఇబ్రహీం పట్నం ఇబ్రహీంపట్నం, మంచాల, యాచారం, అబ్దుల్లాపూర్, హయత్నగర్, మాడ్గుల
రాజేంద్రనగర్ శంషాబాద్, శేరిలింగంపల్లి, రాజేంద్రనగర్, గండిపేట
చేవెళ్ళ శంకర్పల్లి, చేవెళ్ల, మొయినాబాద్, షాబాద్
షాద్ నగర్ 5 ఫరూక్నగర్, కొత్తూరు, కేశంపేట, కొందుర్గ, చౌదరిగూడెం, నందిగామ
ఆంధ్రప్రదేశ్ లో జిల్లాలు
విశేషాలు
అనంతపురం జిల్లా కంటే వైశాల్యంలో చిన్న దేశాలు: మాల్టా, గ్రెనెడా, ఆండొర్రా, బహ్రైన్, బ్రూనే, కేప్వర్ద్, సైప్రస్, డొమినికా, ఫిజీ, గాంబియా, జమైకా, కువైట్, లెబనాన్, లక్సెంబర్గ్, మారిషస్,
పోర్టోరికో, కతార్, సీషెల్స్, సింగపూర్, స్వాజీలాండ్, టాంగో.ట్రినిడాడ్, టుబాగో, వనౌటూ.
తూర్పుగోదావరికంటే జనాభాలో చిన్నదేశాలు:
ప్రస్తుతం ఈజిల్లా జనాభా 50లక్షలు అనుకుంటే 110 దేశాలు ఈజిల్లా కంటే చిన్నవి.
పార్లమెంటు స్థానాల కంటే జిల్లాల సంఖ్య ఎక్కువగా ఉన్న రాష్ట్రాలు (19, కేంద్ర పాలిత ప్రాంతాలు (4):
అరుణాచల్ ప్రదేశ్, అసోం, చత్తీస్ గఢ్, హర్యానా, హిమాచల్ ప్రదేశ్, జమ్ము కాశ్మీర్, ఝార్ఖండ్, కర్నాటక, మధ్యప్రదేశ్, మణిపూర్, మేఘాలయ, మిజోరం, నాగాలాండ్, ఒడిషా, పంజాబ్, రాజస్తాన్, సిక్కిం, త్రిపుర, ఉత్తరాఖండ్, అండమాన్ నికోబార్ దీవులు, డామన్ డయ్యు, పుదుచ్చేరి, ఢిల్లీ.
జిల్లాల సంఖ్య అసలు పెరగని రాష్ట్రాలు (6):
ఆంధ్రప్రదేశ్, బీహార్, హిమాచల్ ప్రదేశ్, కేరళ, సిక్కిం,
ఇవీ చూడండి
భారతదేశ జిల్లాల జాబితా
మూలాలు
వర్గం:భారతదేశం జిల్లాలు
వర్గం:జిల్లా
వర్గం:పాలనా విభాగములు
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%9C%E0%B0%BF%E0%B0%B2%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B0%BE |
{
"plaintext_start_byte": [
26,
144,
218,
316,
1502,
1972,
2284,
2386,
2556,
2639,
2755,
3058,
3496,
3601,
4736,
5386,
5579,
5644,
6754,
6951,
7090,
8156,
8463,
9773,
10009,
10541,
10958,
11510,
12371,
12534,
12573,
12647,
12673,
12970,
13117
],
"plaintext_end_byte": [
143,
215,
316,
450,
1971,
2283,
2359,
2555,
2638,
2754,
3057,
3479,
3600,
4735,
5385,
5578,
5643,
6753,
6928,
7089,
8139,
8462,
9750,
10008,
10540,
10938,
11418,
12370,
12510,
12565,
12636,
12662,
12932,
13099,
13166
]
} | MLBオールスターゲームで記録された最高球速は何キロ | アロルディス・チャップマン | japanese | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Wikimedia Error
Error
Our servers are currently under maintenance or experiencing a technical problem.
Please try again in a few minutes.
See the error message at the bottom of this page for more information.
If you report this error to the Wikimedia System Administrators, please include the details below.Request from 104.132.154.82 via cp1077 cp1077, Varnish XID 131989560
Error: 503, Backend fetch failed at Thu, 24 Oct 2019 14:54:41 GMT
[error][enwiki/Main Page] Template Expansion failure for "4a6b7f85b8adec2c3c02748c05beacc6": 503
Error: Template Expansion failure for "4a6b7f85b8adec2c3c02748c05beacc6": 503
at PreprocessorRequest.ApiRequest._requestCB (/usr/local/google/home/jhclark/software/parsoid/lib/mw/ApiRequest.js:431:11)
at Request.request [as _callback] (/usr/local/google/home/jhclark/software/parsoid/lib/mw/ApiRequest.js:335:35)
at Request.self.callback (/usr/local/google/home/jhclark/software/parsoid/node_modules/request/request.js:185:22)
at Request.emit (events.js:189:13)
at Request. (/usr/local/google/home/jhclark/software/parsoid/node_modules/request/request.js:1157:10)
at Request.emit (events.js:189:13)
at IncomingMessage. (/usr/local/google/home/jhclark/software/parsoid/node_modules/request/request.js:1079:12)
at Object.onceWrapper (events.js:277:13)
at IncomingMessage.emit (events.js:194:15)
at endReadableNT (_stream_readable.js:1125:12)
at process._tickCallback (internal/process/next_tick.js:63:19)
アルベルティン・アロルディス・チャップマン・デラクルーズ(Albertin Aroldis Chapman de la Cruz, 1988年2月28日[注釈 1] - )は、キューバ共和国オルギン州オルギン出身のプロ野球選手(投手)。左投左打。現在はMLB・ニューヨーク・ヤンキースに所属。メディアによっては<b data-parsoid='{"dsr":[1844,1855,3,3]}'>チャプマン</b>と表記されることもある[1][2][3][4][5]。
MLB史上最速となる105.1mph (169.1km/h)の記録[6]を保持しギネス世界記録にも認定された。2014年7月11日にはリリーフとして歴代最高となる40試合連続奪三振を記録[7]記録は49試合まで伸ばした。2015年7月19日、史上最速通算500奪三振を達成。
愛称は<b data-parsoid='{"dsr":[3265,3277,3,3]}'>ザ・ミサイル[8]。
経歴
キューバ時代
当初、ボクサー志望で、一塁手を経て投手へ転向するが、2005年ジュニア世代のリーグ戦の成績は2勝6敗・防御率4.27であった。
2005-06シーズンのセリエ・ナシオナル・デ・ベイスボル出場。
2006-07シーズンには規定投球回数不足ながらリーグ最多奪三振のタイトルを記録した。
2007年7月に2007年パンアメリカン競技大会の野球キューバ代表に選出された。同大会では準優勝で銀メダルを受賞した。11月に第37回IBAFワールドカップのキューバ代表に選出される。同大会では大会最優秀左投手に選出された。
2009年3月に開催された第2回ワールド・ベースボール・クラシック(WBC)のキューバ代表に選出された[9]。同大会では第2ラウンドの日本戦で先発し、2回1/3を3失点で敗戦投手になる[10]。7月には第12回ワールドポート・トーナメントのキューバ代表に選出された。大会期間中にヨーロッパの小国アンドラに亡命した[11]。
レッズ時代
2010年1月10日にシンシナティ・レッズと総額3025万ドルの6年契約を結んだ[12]。
開幕はAAA級ルイビル・バッツで迎え、先発で起用されるも6月に0勝4敗・防御率5.84と不振に陥り、シーズン途中にクローザーへ転向。8月27日のコロンバス・クリッパーズ戦で105mph(約169km/h)をマークした[13][注釈 2]。8月31日にメジャーに昇格し、その日のミルウォーキー・ブルワーズ戦の8回にメジャー初登板。1回無安打、1奪三振、無失点でメジャーデビューを果たした。投球した8球のうち速球は6球で全て98mph(約158km/h)以上をマークし、最速は球場表示で102mph(約164km/h)を、テレビ中継では103mph(約166km/h)をマーク。翌日にはPITCHf/xで103.9mph(約167.2km/h)をマークし、ジョエル・ズマヤに次ぐ歴代2位の球速と公式に認定され[14]、9月24日のサンディエゴ・パドレス戦で史上最速となる105.1mph(約169.1km/h)を記録[15][注釈 3]。この時に打席に入っていたトニー・グウィン・ジュニアは「目の前を通り過ぎるまで見えなかった」とコメントした。
2011年4月18日のピッツバーグ・パイレーツ戦では、球場の表示で106mph(約170.6km/h)をマーク。しかし、テレビ中継の表示では105mph(約169km/h)、PITCHf/xでは102.4mph(約164.8km/h)と計時され、公式記録としては認定されなかった[16][17][18]。本人は「調子は良かった。でもスピードのことなんて気にしないで投げている」とコメントし、監督のダスティ・ベイカーは「彼は休み明け、106マイルを出しても不思議ではない」とコメントした[17]。この年の最高球速は103.4mph(約166.4km/h)[注釈 3]。
2012年は開幕直後に抑えに回り、与四球率を前年よりも大幅に改善するなど38セーブを挙げた。この年の最高球速は102.7mph(約165.3km/h)[注釈 3]。
2013年の最高球速は104.0mph(約167.4km/h)[注釈 3]。
2014年1月28日にレッズと500万ドルの1年契約に合意した[19]。スプリングトレーニング中の3月19日に行われたカンザスシティ・ロイヤルズ戦でサルバドール・ペレスの打球が顔面に直撃。翌日左目の手術を行い、投球練習までには10日から14日間かかり、実戦復帰には4週間から5週間かかる見込み[20]。5月10日に故障者リストから外れた[21]。復帰後は例年どおりの調子を取り戻し、54試合に登板した。7月11日のパイレーツ戦で、リリーフとして歴代最高となる40試合連続奪三振を記録し、その後記録を49試合まで伸ばした。54イニングで106奪三振は、9イニングあたりの奪三振率は17.7であり、これは2012年にクレイグ・キンブレルが記録した16.7を上回り、歴代最高記録(50イニング以上が対象)である。この年の最高球速は103.8mph(約167.0km/h)[注釈 3]。また、シーズンを通してのフォーシームの平均球速が初めて100mphを超えた[注釈 3]。
2015年7月19日、史上最速となる292イニングでの通算500奪三振</b>を達成し、クレイグ・キンブレルが持っていた記録を更新した[22]。
ヤンキース時代
2015年12月28日にケイレブ・コーザム、、、とのトレードで、ニューヨーク・ヤンキースへ移籍した[23]。
2016年2月26日に前年オフに恋人に対して発砲8回と首を絞めたりしたなどのDVの容疑で開幕から30試合の出場停止となる処分を受けた[24]。4月30日にアメリカ合衆国の市民権を取得[25]し、第4回WBCアメリカ合衆国代表選出を熱望していることを公表した[26]。5月9日のロイヤルズ戦で復帰し、移籍後初登板。翌10日の同カードでは移籍後初セーブを挙げた[27]。チームでは7回を投げるデリン・ベタンセス、セットアッパーのアンドリュー・ミラー、抑えのチャップマンで勝ちパターンとして起用され、この3人を「スリーヘッディッド・モンスター(三つ頭の怪物)」と呼称されたり、チームが3人の頭文字を取り得点(ラン)を与えないという意味でRun-D.M.C.を真似た「ノー・ランズDMC」Tシャツを販売したりもした[28]。ヤンキースでは31試合の登板で20セーブ、防御率2.01の成績だった。
カブス時代
2016年7月25日にアダム・ウォーレンら、マイナー選手3名とのトレードで、シカゴ・カブスへ移籍した[29]。カブスではヘクター・ロンドンが抑えを務めていたが、ロンドンはセットアッパーに配置転換され移籍後も抑えを務めた。
移籍後は28試合で1勝1敗16セーブ、防御率1.01と好調を維持、シーズン通算では59試合で4勝1敗36セーブと5年連続30セーブを記録した。30試合の出場停止が響き、前年まで4年連続で達成していた100奪三振には届かなかった。ポストシーズンではサンフランシスコ・ジャイアンツとのディビジョンシリーズで4試合全てに登板。第3戦ではリードを守れず降板したが、それ以外ではセーブを挙げ、チームはリーグチャンピオンシップシリーズ進出を決めた。ロサンゼルス・ドジャースとのリーグチャンピオンシップシリーズでは4試合に登板。2点リードの8回無死満塁の場面で登板した第1戦では同点2点タイムリーを打たれセーブに失敗したが、それ以外の3試合では合計3回2/3をセーブこそつかなかったものの無失点に抑えた。クリーブランド・インディアンスとのワールドシリーズでは5試合に登板。1勝1セーブ、防御率3.52の成績だった。特に第5戦では1点リードの7回1死2塁の場面から登板し、2回2/3を無失点。4奪三振で締めてセーブを挙げた。11月3日にFAとなった[30]。
ヤンキース復帰
2016年12月8日、ニューヨーク・ヤンキースと5年8600万ドルで契約に合意したと報じられ[31]、12月15日に正式に契約を結んだ[32]。これは救援投手としては史上最高額であった[33]。
2017年は開幕から抑えを任されたが、5月14日に回旋筋腱板炎症で故障者リスト入りした[34]。
。6月に復帰したものの本調子ではなく、度重なる救援失敗で8月後半から中継ぎに配置転換された[35]。9月には11試合で12イニング無失点と復調し抑えに戻ったが、トータルでは22セーブ・防御率3.22と抑えを務めるようになった2012年以降では最も低い成績に終わり、連続30セーブも5年で途切れてしまった。
2018年は開幕から好調を維持し、7月までに45試合登板で防御率1.88を記録していたが、シーズンを通じて左膝腱炎に苦しみ、8月22日から故障者リスト入りした[36]。9月に復帰したものの、抑えを務める場面は限られ、シーズン通算では55試合登板で3勝無敗32セーブ・防御率2.45という成績に終わった。
投球スタイル
スリークォーターから投げる最速105.1mph(約169.1km/h)・平均球速99-100mph(約159-161km/h)のフォーシームと平均87-88mph(約140-142km/h)のスライダーの2球種で全投球の9割超を占め、時折80mph台後半のチェンジアップを投げる[37]。奪三振率(K/9)が極めて高く、MLB通算奪三振率は15.0。その一方で細かな制球力に欠き、通算の与四球率(BB/9)は4.2[38]。
詳細情報
年度別投手成績
-HOL151500--350--.37526354.04855415563033264.331.892006-231200--437--.57135081.159450091005126252.771.342007-161621--670--.46232474.05533728791236323.891.242008-222010--1140--.733515118.11097622913014056534.031.45CIN1500002204.5005113.1905001920432.031.0554000041113.80020750.02424124714021203.601.3068000055386.50027671.235423041224013121.510.8168000045380.44425863.237729031126018182.541.0454000003360.00020254.021124021064012122.000.8365000044330.50027866.143333151167013121.631.15NYY310000302001.00012031.12028004421872.010.89CHC28000011160.50010226.212010004660431.010.83'16計59000041360.80022258.03221800908112101.550.86NYY52000043221.57121050.13732023695020183.221.13550000303211.00021251.12423005939015142.451.05CNS:4年766331--24197--.5581452327.2271192035313652331511363.741.45MLB:9年4900000302423625.5561916478.2262242233247984911281192.241.01
2018年度シーズン終了時
各年度の<b data-parsoid='{"dsr":[16185,16193,3,3]}'>太字</b>はリーグ最高
「-」は記録なし
年度別守備成績
2018年度シーズン終了時
記録
オールスターゲーム選出:4回(2012年 - 2015年)
背番号
54 (2010年 - )
代表歴
2007年パンアメリカン競技大会野球キューバ代表
2007 IBAFワールドカップ キューバ代表
2009 ワールド・ベースボール・クラシック・キューバ代表
2009 ワールドポート・トーナメント キューバ代表
脚注
注釈
出典
関連項目
メジャーリーグベースボールの選手一覧 C
キューバ出身のメジャーリーグベースボール選手一覧
外部リンク
MiLB.com (in English)
on Instagram
on Twitter
| https://ja.wikipedia.org/wiki/%E3%82%A2%E3%83%AD%E3%83%AB%E3%83%87%E3%82%A3%E3%82%B9%E3%83%BB%E3%83%81%E3%83%A3%E3%83%83%E3%83%97%E3%83%9E%E3%83%B3 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
326,
768,
1068,
1231,
1526,
2043,
2630,
3186,
3602,
4313,
4998,
5247,
5502,
6437,
6994,
7532,
7902,
8600,
9098,
9627,
10130,
10582,
11067,
12009,
12895,
13626,
13757,
13897,
14515,
15120,
15758,
16510,
17133,
17393,
17784,
18252,
18884,
19260,
19901,
20348,
20832,
21323,
21616,
21881,
22253,
22896,
23233,
23780,
25162,
25594,
26557,
26725,
27036,
27596,
27728,
27924,
28286,
28439,
29008,
29174,
29991,
30265,
30374,
30688,
30833,
31434,
31912,
32372,
32491,
33829,
35168,
36793,
38886,
39241
],
"plaintext_end_byte": [
325,
767,
1067,
1203,
1525,
2042,
2629,
3185,
3590,
4312,
4997,
5246,
5501,
6436,
6993,
7531,
7901,
8579,
9097,
9626,
10129,
10581,
11066,
11982,
12889,
13625,
13756,
13890,
14514,
15119,
15745,
16509,
17132,
17392,
17783,
18251,
18883,
19259,
19900,
20347,
20820,
21322,
21615,
21880,
22252,
22895,
23221,
23779,
25125,
25593,
26556,
26724,
26995,
27595,
27718,
27923,
28285,
28438,
29007,
29151,
29990,
30264,
30354,
30676,
30817,
31409,
31911,
32359,
32481,
33783,
35157,
36771,
38849,
39238,
39356
]
} | Milloin Kalevala on kirjoitettu? | Kalevala | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Kalevala on Suomen ja Karjalan tasavallan kansalliseepos. Se perustuu Elias Lönnrotin (1802–1884) vuodesta 1828 alkaen kokoamiin suomalais-karjalaisiin kansanrunoihin. Varsinaisen Kalevalan ensimmäinen painos eli Vanha Kalevala ilmestyi vuonna 1835, ja nykyisin pelkkänä Kalevalana tunnettu Uusi Kalevala vuonna 1849.
Kalevalan runot ovat kalevalaista runoutta eli ne on tehty kalevalaiseen runomittaan. Kalevalan sisältämät runot eivät ole suoraan runonlaulajien laulamassa muodossa, vaan niitä on muokattu, niiden kieliasua on yhtenäistetty ja korjailtu ja joitakin osia runoista on siirretty toiseen paikkaan ja eri asiayhteyteen kuin alun perin muistiin merkityissä runoissa. Osan Lönnrot on runoillut itse muodostamaan yhtenäisiä juonikuvioita.
Kalevalan alussa on luomismyytti, jonka mukaan maailma syntyi sotkan munasta. Kalevala kuvaa muun muassa Kalevalan ja Pohjolan kansojen sekä eri päähenkilöiden välisiä kiistoja, kostoreissuja ja kosiomatkoja sekä Sammon rakentamista ja ryöstöä. Tapahtumat päättyvät kristinuskon tuloon.
Kalevalalla on ollut suuri merkitys suomalaisen kansallistunteen luojana. Se on myös vaikuttanut laajasti taiteisiin ja tieteisiin.[1]
Historia
Runojen alkuperä
On arveltu, että kantasuomalaiset kehittivät omaperäisen laulumuodon suuressa kulttuurimurroksessaan noin 500–1000 eaa. Uudelle laulumuodolle oli ominaista säkeen alkusoinnillisuus ja kerto sekä säkeistöttömyys. Säkeiden neli-iskuinen runomitta tunnetaan nykyisin kalevalamittana.[2]
Suomalaisessa vanhassa kansanrunoudessa on eri-ikäisiä kerrostumia. Vanhimpia ovat myyttirunot, jotka kertovat maailman ja kulttuurin synnystä. Kertovien runojen päähenkilönä on usein mahtava laulaja ja tietäjä, joka tekee tiedonhakumatkoja vainajien maailmaan. Kalevalan laulujen sankarien seikkailut tapahtuvat merentakaisessa Pohjolassa. Runoihin kuului myös lyyrisiä lauluja, jotka tulkitsivat ihmisen omia henkilökohtaisia tunnelmia, rituaalirunoutta häihin ja karhunpeijaisiin, sekä loitsuja.[2]
Kalevalaisten runojen syntypaikasta on ollut kaksi voimakasta tutkimustraditiota, joiden välinen kiistely oli aikoinaan ajoittain katkeraakin. Lönnrot itse totesi Uuden Kalevalan alkusanoissa, että runot olivat syntyneet "Permiassa" Vienanmeren länsirannikolla. Näkemys runojen ainoastaan karjalaisesta perinteestä vallitsi tämän jälkeen pari vuosikymmentä ja vain tarkasta sijainnista kiisteltiin kunnes Aksel Borenius esitti teorian runojen läntisestä alkuperästä. Nykyään on vallalla käsitys, että Kalevalassa on sekä läntistä että itäistä runoperinnettä.[3]
Matti Pöllä ja aiemmin Matti Kuusi ovat esittäneet, että merkittävä osa kalevalaisesta runoudesta olisi tullut Karjalaan Pohjanmaalta ja Savosta tulleiden siirtolaisten mukana. Pöllä on myös esittänyt, että näiden siirtolaisten joukossa saattoi olla myös nuijasodan jälkiselvittelyitä pakenevia tai noituudesta syytettyjä tietäjäsukuja. Pöllän mukaan Vienan alueella talletetun runouden juuret löytyvät Kainuussa ja Pohjois-Pohjanmaalla esiintyneestä perinteestä, mutta siinä on myös Karjalasta ja Savosta saatuja vaikutteita.[4]
Kalevalamitan käyttö alkoi hitaasti kadota Suomesta 1500-luvun uskonpuhdistuksen jälkeen, kun luterilainen kirkko kielsi laulutradition pakanallisena ja toisaalta kun eurooppalainen painoihin ja riimeihin perustuva runon muotokieli levisi maahan. Länsi-Suomesta vanha runonlauluperinne väistyi ensin ja myöhemmin muualtakin maasta. Vienan Karjalassa perinne on säilynyt näihin päiviin saakka.[2]
Runonkeruu
Turun Akatemian professori Henrik Gabriel Porthan ja hänen oppilaansa Christfried Ganander keräsivät 1700-luvulla kalevalaista sanastoa Mythologia Fennica -teokseen. 1800-luvulla suomalaiset kiinnostuivat laajemmin vanhojen kansanrunojen muistiinmerkitsemisestä.[5] Lähes kaikilta maailman kansoilta löytyy eeppisen runouden perinne, ja monissa tapauksissa sitä on myös koottu kirjoitetuiksi eepoksiksi. Länsimaissa tunnetuimmat eepokset Kalevalan syntyaikaan lienevät olleet Homeroksen kirjoittamiksi väitetyt Ilias ja Odysseia. Homeroksen esikuva vaikutti ratkaisevasti Elias Lönnrotin eeposajatuksen heräämiseen, ja Kalevalaakaan tuskin olisi syntynyt ilman edeltäneiden eeposten mallia.[6]
Lääkäriksi Helsingissä opiskeleva Elias Lönnrot lähti ensimmäiselle runonkeruumatkalleen keväällä 1828. Hän taivalsi 130 peninkulman matkan Sammatista Karjalaan ja takaisin Laukkoon pääasiassa jalan. Kauniilla huilunsoitollaan hän houkutteli väkeä ympärilleen ja sai heiltä tietoonsa kansanrunojen taitajat. Kesälahden Hummovaaran kylässä hän tapasi runonlaulaja Juhana Kainulaisen, joka töidensä lomassa ehti laulaa Lönnrotille kolmatta päivää. Kainulaiselta Lönnrot merkitsi muistiin lähes viisikymmentä runoa, joista moni oli metsämiesten loitsuja. Ensimmäiseltä retkeltään Lönnrot sai runoja ja loitsuja talteen yhteensä yli 6000 säettä.[7]
Toiselle runonkeruumatkalleen Lönnrot lähti toukokuussa 1831. Vienan Karjalaan suunniteltu retki epäonnistui kuitenkin Lönnrotin sairastuttua kuumeeseen alkumatkasta. Elokuussa hänet kutsuttiin takaisin Helsinkiin koleraepidemiaa torjumaan.[8]
Saatuaan lääketieteelliset opintonsa päätökseen keväällä 1832 Lönnrot lähti kolmannelle keruuretkelleen, jälleen Vienaan. Retken alku promootiotoverien kanssa oli lähinnä hauskanpitoa, mutta Vienasta Lönnrot sai kerätyksi 3000 säettä.[8]
Palattuaan kolmannelta keruumatkaltaan Lönnrot muutti apulaislääkäriksi Ouluun ja sen jälkeen piirilääkäriksi Kajaaniin. Syksyllä 1833 hän lähti neljännelle keruuretkelleen, josta tuli Kalevalan synnyn kannalta kaikkein merkityksellisin. Vuonnisessa Lönnrot tapasi Ontrei Malisen, joka lauloi hänelle kahdeksan pitkää runoa, yhteensä 806 säettä.[9] Niihin kuului 366-säkeinen sampo-aiheinen jakso ja muitakin Kalevalan tärkeimpiä kertovia aineksia.[10] Malisen lähellä asuneen Vaassila Kieleväisen kanssa käymänsä keskustelun jälkeen Lönnrot alkoi uskoa, että eri runoja yhdistämällä hän voisi laatia suuren yhtenäisen kokonaisuuden. Palattuaan tältä retkeltään Lönnrot alkoi laatia pienoisrunoelmaa Väinämöisestä. Hänen oli tarkoitus julkaista käsikirjoitus Runokokous Väinämöisestä keväällä 1834, mutta ennen sitä hän halusi vielä tavata muutamia tunnettuja runonlaulajia.[9]
Viidennellä keruuretkellään keväällä 1834 Lönnrot tapasi aluksi Vienan Lonkan kylässä Martiska Karjalaisen, jolta hän sai lähes kolmekymmentä pitkää laulua. Retken lopuksi hän saapui Latvajärveen, missä Arhippa Perttunen lauloi hänelle kolmen päivän ajan niin useita uusia runoja kuin puutteellisesti tunnettuja runojakin ehjinä kokonaisuuksina. Vaikuttunut Lönnrot piti Perttusta viimeisenä todellisena runonlaulajana. Viidennen matkan jälkeen Lönnrot kirjoitti eepoksensa käsikirjoituksen, joka valmistui 28. helmikuuta 1835.[9]
Lönnrotin tavoitteeksi muodostui koota runot laajaksi, juonellisesti eteneväksi kertomukseksi Homeroksen Ilias- ja Odysseia-eeposten mallin mukaan. Hän myös karsi runojen kristillisiä ja muita ”uudenaikaisia” piirteitä, teki muutoksia paikannimiin ja henkilöihin kuten Ilmariseen, koosti yksittäisiä runoja usean runon aineksista ja teki runomittaa koskevia valintoja. Hän lisäksi sepitti tarvittaessa kokonaan uusia säkeitä kansanrunojen aineksista – Lönnrotin sepittämiä säkeitä Kalevalasta on 3 prosenttia.[11]
Lönnrot ei nostanut esiin kuulemiensa runonlaulajien henkilöitä, sillä hän näki kansanrunot koko kansan yhteisinä runoina. Lönnrot kuitenkin mainitsi usean teoksensa johdannossa ainakin yhden tärkeän laulajan nimeltä, ja hänen matkakertomustensa, kirjeiden ja muiden tietojen perusteella on tunnistettu yli 70 laulajaa, joita hän retkillään kuunteli.[12]
Lönnrot kiersi useimmin Kajaanista itään olevilla Vienan Karjalan alueilla. Hän kulki keruumatkoilla myös Suomen puolella, lähinnä kuitenkin Itä-Suomessa. Tämä ei tarkoita, ettei Länsi-Suomella olisi ollut lainkaan osuutta Kalevalan runojen syntyyn; sieltä runonlauluperinne vain katosi aikaisemmin. Runoissa esiintyy myös länsisuomalaisia murrepiirteitä. Länsi-Suomi ei siis ole ”runotonta” aluetta. Muusta Kalevalasta poiketen Kullervo-runon alkuperä on Inkerissä, josta sen keräsi ja toimitti Lönnrotille D. E. D. Europaeus.[13] Monet muutkin keräsivät runoja ja niitä on saatu talteen paljon. Suomen kansanrunousarkisto onkin maailman suurin.[14]
Kalevalan julkaisut
Lönnrot julkaisi viisi erilaista Kalevalaa. Ensimmäisenä julkaistiin vuonna 1833 Sikermä-Kalevala, jossa oli suppeita Lemminkäis-, Väinämöis- ja häärunoja. Samana vuonna ilmestyi myös jo eepoksenmittainen Runokokous Väinämöisestä, joka sai myöhemmin nimekseen Alku-Kalevala.[15] Sikermä-Kalevalan Lemminkäinen-runoelmassa oli 825 säettä, Väinämöinen-runoelmassa 1867 säettä ja Naimakansan virsissä 449 säettä. Runokokouksessa Väinämöisestä oli jo 5052 säettä.[16]
Varsinaisen Kalevalan ensimmäinen painos (eli Vanha Kalevala) ilmestyi vuonna 1835. Lönnrot antoi sille nimeksi Kalewala taikka Wanhoja Karjalan Runoja Suomen kansan muinosista ajoista ja se jakautuu 32 runoon ja 12078 säkeeseen.[16] Lönnrot arveli Vanhaa Kalevalaa rakentaessaan, että runot olivat kristinuskoa edeltäviltä ajoilta ja kuvasivat historiallisia tapahtumia. Hän uskoi, että karjalaiset, hämäläiset ja virolaiset olisivat vaeltaneet muinaisina aikoina Aasiasta Mooseksen kaltaisen Kalevan johdolla.[15]
Kalevala herätti heti kiinnostusta akateemisissa piireissä, sillä se antoi merkitystä suomenkieliselle kirjallisuudelle ja Suomen kansalle muinaisen kulttuurin. Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran puheenjohtajan Johan Gabriel Linsénin mukaan Kalevala antoi suomalaiselle kirjallisuudelle ”miltei eurooppalaisen merkityksen”. Vaikka akateemiset piirit ottivat teoksen hyvin vastaan, myyntimenestys Kalevala ei ollut. Siitä otettiin 500 kappaleen painos, jota riitti myytäväksi 12 vuodeksi.[15]
Kalevala kiinnosti myös ulkomailla, M. A. Castrénin ruotsinnos ilmestyi 1841. Ranskaksi teoksen käänsi Louis Léouzon Le Duc, joka toimi Suomessa venäläisen kreivin perheen kotiopettajana ja oli kiinnostunut suomalaisesta kansanrunoudesta. Ranskankielinen painos ilmestyi 1845. Käännösten ansiosta Kalevala sai mainetta ulkomailta, esimerkiksi Jacob Grimm piti keväällä 1845 teoksesta maineikkaan esitelmän Preussin tiedeakatemiassa.[17]
Niin sanottu Uusi Kalevala, jota useimmiten kutsutaan pelkäksi Kalevalaksi, valmistui vuonna 1849.[18] Se sisältää 50 runoa ja 22795 säettä. Se oli vielä aiempia versioita enemmän Lönnrotin oma luomus.[16] Lönnrot ei enää Uutta Kalevalaa rakentaessaan uskonut, että runoja voitaisiin palauttaa alkuperäiseen muotoonsa. Hän tunsi tässä vaiheessa osaavansa runot paremmin kuin runonlaulajat, joten hän yhdisteli runoja ja niiden aiheita oman näkemyksensä mukaan.[19]
Lönnrotista tuli syksyllä 1853 suomenkielen professori ja hän piti 17 lukukauden ajan Kalevala-luentoja. Opetuskokemuksen perusteella Lönnrot alkoi pohtia teosta myös koulutuksen näkökulmasta. Hän päättikin ryhtyä viidennen kerran muokkaamaan teostaan, kun häneltä pyydettiin lyhennettyä painosta koulujen tarpeeseen. Koulu-Kalevalan käsikirjoitus oli valmis huhtikuussa 1861. Sitä ei otettu kovinkaan innostuneesti vastaan ja esimerkiksi J. V. Snellmanin mielestä lyhennetty laitos oli menettänyt runollisuutensa ja eeppisyytensä. Koulu-Kalevala ei ollutkaan pitkäaikaisessa käytössä kouluissa. Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran julkaisemaa ”helppohintaista” Kalevalaa alettiin käyttää 1870-luvulla opetuksessa. Alaluokilla oppilaat saivat kuitenkin tietonsa pääsääntöisesti Zachris Topeliuksen Maamme kirjasta ja yläluokilla koululaiset lukivatkin jo varsinaista Kalevalaa.[19]
Runotallenteiden julkaisu
Uuden Kalevalan ilmestymisen jälkeen 1850-luvulla tutkijat, kuten D. E. D. Europaeus, alkoivat vaatia saada tutustua Lönnrotin käyttämiin runotallenteisiin. Lönnrot kuitenkin viivytti niiden julkaisemista, vaikka olikin sitä lupaillut teoksensa alkulauseessa. Tutkijoiden käyttöön tämä hyvin laaja ja järjestämätön käsikirjoituskokoelma tuli vuonna 1874. Tallenteiden ensimmäinen nide Kalevalan toisintoja julkaistiin 1888, minkä jälkeen tutkijoilla oli ensi kertaa mahdollisuus ryhtyä selvittämään tarkemmin Kalevalan ja kansanrunouden välistä suhdetta. Tästä alkoi väittely siitä, kuinka paljon Kalevalaa tuli pitää Lönnrotin itsensä luomuksena ja kuinka paljon aitona kansanrunoutena. Kun Lönnrotin muokkaus- ja luomistyön laajuus 1880-luvulla selvisi, tekijyyden ongelma ratkaistiin tekemällä Lönnrotista ”viimeinen runonlaulaja”.[20]
Nimi
Kalevala on Kalevala-eepoksessa esiintyvien sankarien kotipaikka tai kotimaa. Nimi tulee Kalevasta, suomalaisten myyttisestä esi-isästä ja Väinämöisen isästä. Kalevala on Kalevan jälkeläisten kansakunta, ja Kalevalan sankarit Väinämöinen, Ilmarinen ja Lemminkäinen ovat Kalevan poikia. Kaleva oli varhaisissa muinaishistoriaa käsittelevissä teoksissa ja kirjoituksissa tulkittu myös pahuuden perikuvaksi ja jumalallisen järjestyksen viholliseksi, mutta Lönnrot muutti hänet alkusankariksi runoaineistoa valikoimalla ja tulkitsemalla. Lönnrotin Kaleva on ensimmäinen Suomeen muuttaja ja siten kaikkien suomalaisten eli kalevalaisten, Suomen heimon kantaisä. Kalevalan toisintonimenä esiintyy Väinölä.[21]
Alkuperäisessä kansanrunoudessa Kalevala mainitaan vain satunnaisesti. Nämä säkeet on tallennettu vuonna 1837 Kellovaarassa:
Kalevalassa nimi mainitaan eri muodoissaan 26 kertaa, usein toisintonimensä Väinölän kanssa, esimerkiksi kolmannen runon alussa:
Kieli
Kalevalan kieli on pääasiassa suomen kielen itämurteita sekä Vienan Karjalassa puhuttuja vienalaismurteita, joiden alueelta Lönnrot useimmat runot keräsi. Vienalaismurteet luetaan karjalan kielen murteiksi, mutta Lönnrot itse piti niitä suomen kielen murteina. Paikoitellen Lönnrot muokkasi runojen kieltä suomalaisille helpommin ymmärrettäväksi ja teki äänneopillisia kompromisseja kansankielen ja perinteisen kirjakielen välillä. Vanhassa Kalevalassa karjalaisuuksia on runsaammin kuin Uudessa Kalevalassa, etenkin sanaston piirissä, mutta jonkin verran myös äänne-, muoto- ja johto-opissa.[22]
Kalevalassa ei käytetä nykysuomen vierasperäisiä kirjaimia b, c, d, f, q, w, x, z ja å.[23] Itämurteiden tapaan Lönnrot ei käyttänyt d-kirjainta t:n heikkona vastineena runoissa, mutta käytti d:tä kuitenkin johdannossa, tiivistelmissä ja runojen nimissä.[24] Pitkät a- ja ä-vokaalit Lönnrot merkitsi pääpainollisissa ensi tavuissa länsimurteiden tapaan aa ja ää, mutta kauempana sanassa vienalais- ja itämurteiden mukaisesti oa ja eä. Lönnrot alkoi jo Vanhassa Kalevalassa käyttää jokseenkin säännöllisesti kaakkoismurteiden ts:ää muiden murteiden tt:n ja ht:n sijaan.[25]
Kalevala teki suomen itämurteet ja karjalan kielen suomalaisille tutummaksi. Se toi suomen kirjakieleen uusia äänne- ja muoto-opillisia piirteitä, vaikutti suomen sananmuodostukseen sekä toi suomeen uusia sanoja.[26] Vanhassa Kalevalassa on laskettu olevan 184 sellaista Nykysuomen sanakirjaan päässyttä sanaa, jotka esiintyivät ensi kerran juuri VK:ssa. Niiden lisäksi 197:ää VK:ssa käytettyä sanaa ei ollut esiintynyt vielä Ruotsin vallan aikaisissa julkaisuissa, kuten nykyisin yleiset sanat eräs, kuten, järjestää ja joten. Myös monet johdostyypit tulivat suomalaisille tutuiksi juuri Kalevalasta.[27]
Tapahtumat
Runot 1–10: Ensimmäinen Väinämöis-jakso: Maailman luominen ja Väinämöisen syntymä; Väinämöisen ja Joukahaisen kohtaaminen; Joukahainen lupaa sisarensa Ainon käden Väinämöiselle vastineeksi elämästään; Aino hukuttautuu; Joukahainen kostaa; haavoittunut Väinämöinen ui Pohjolaan ja tapaa Pohjolan emäntä Louhen; Louhi auttaa Väinämöistä palaamaan takaisin kotiin vastineeksi siitä että tämä lupaa järjestää taitavan sepän takomaan Sammon, ihmeellisen, rikkauksia tekevän myllyn; Väinämöinen pakottaa loitsutaidoillaan Ilmarisen Pohjolaan; Ilmarinen takoo Sammon, kun hänelle luvataan palkkiona upea Pohjolan neito puolisoksi; Ilmarisen pettymykseksi neito kuitenkin kieltäytyy lähtemästä hänen matkaansa.
Runot 11–15: Ensimmäinen Lemminkäis-jakso: Lemminkäinen ryöstää Kyllikin ja he tekevät valan: ei käy Lemminkäinen sodissa eikä Kyllikki kylillä, mutta valat kuitenkin rikotaan ; Lemminkäinen matkustaa Pohjolaan kosimaan Pohjolan tytärtä paremmaksi vaimoksi; ansioteot jotka Lemminkäisen tulee suorittaa: hiihtää Hiiden hirvi (onnistuu toisella yrittämällä) ja suistaa Hiiden ruuna sekä ampua Tuonelan joutsen; märkähattu karjapaimen kuitenkin surmaa Lemminkäisen ja heittää tämän ruumiin Tuonelan virtaan; Lemminkäisen äiti haravoi poikansa Tuonelan joesta ja luo tämän uudelleen henkiin.
Runot 16–18: Toinen Väinämöis-jakso: Väinämöinen etsii veneen rakentamiseen tarvittavia loitsusanoja ensin Tuonelasta ja sitten Antero Vipuselta; Väinämöinen purjehtii Pohjolaan; Ilmarinen ja Väinämöinen kilpailevat Pohjolan tyttären kädestä.
Runot 19–25: Ilmarisen häät (ensimmäinen Ilmaris-jakso): Pohjolan emäntä vaatii tyttärestään ansiotöitä; Ilmarinen suorittaa Pohjolan tyttären avustuksella vaaditut tehtävät: kyntää kyisen pellon, suistaa Tuonen karhun ja Manalan suden sekä tuo Tuonelan hauen Tuonelan joesta; Ilmarisen ja Pohjolan tyttären häät; suuren härän teurastus ja kertomus oluen panemisesta.
Runot 26–30: Toinen Lemminkäis-jakso: Lemminkäinen on kaunainen, koska häntä ei ole kutsuttu häihin; hän matkustaa Pohjolaan ja voittaa Pohjolan isännän kaksintaistelussa; armeija manataan kostamaan Lemminkäiselle; Lemminkäinen pakenee äitinsä neuvosta Saareen; palattuaan kotiin hän huomaa kotinsa poltetuksi; hän lähtee kostoretkelle Pohjolaan kumppaninsa Tieran kanssa; Pohjolan emäntä jäädyttää meren ja Lemminkäisen täytyy palata kotiin.
Runot 31–36: Kullervo-jakso: Untamo surmaa veljensä Kalervon väen, paitsi vaimon, joka synnyttää Kullervon; Untamo yrittää murhata Kullervon, mutta epäonnistuu; Kullervo myydään orjaksi Ilmariselle; Ilmarisen vaimon piinaa Kullervoa leipomalla kiven leivän sisään; Kullervo vannoo kostoa ja vaimo tulee surmatuksi; Kullervo pakenee ja löytää perheensä vahingoittumattomana läheltä Lappia; Kullervo viettelee neidon ja havaitsee tämän myöhemmin omaksi sisarekseen; sisar surmaa itsensä; Kullervo tuhoaa Untamolan surmaten Untamon suvun ja palattuaan kotiin huomaa kaikkien kuolleen; Kullervo surmaa itsensä.
Runot 37–38: Toinen Ilmaris-jakso: Ilmarinen takoo itselleen vaimon kullasta ja hopeasta, mutta toteaa tämän kylmäksi ja hylkää hänet; tämän jälkeen Ilmarinen ryöstää Pohjolan emännän toisen tyttären; tyttö loukkaa Ilmarista, joten tämä loitsii tytön lokiksi; Ilmarinen kertoo Väinämöiselle Pohjolan väen huolettomasta elämästä, jonka Sampo takaa.
Runot 39–44: Sammon ryöstö (kolmas Väinämöis-jakso): Väinämöinen, Ilmarinen ja Lemminkäinen purjehtivat ryöstämään Sampoa; vene jää kiinni suuren hauen harteille; Väinämöinen surmaa hauen ja sen leukaluusta tehdään ensimmäinen kantele; Väinämöinen tuudittaa kaikki Pohjolan salissa uneen laulullaan, ja Sampo ryöstetään; kurjen parkaisu herättää Pohjolan väen; Pohjolan emäntä loihtii sumun, myrskyn ja Iku-Turson pysäyttämään ryöstäjät; kantele putoaa myrskyssä mereen; Pohjolan emäntä loihtii suuren armeijan, muuttaa itsensä kotkaksi ja taistelee Sammosta; Sampo särkyy ja häviää mereen.
Runot 45–49: Louhen kosto Kalevalalle: Väinämöinen valmistaa uuden koivuisen kanteleen; Pohjolan emäntä lähettää Kalevalaan tauteja tappaaman ihmisiä ja karhun surmaamaan karjaa; Väinämöinen parantaa ihmiset ja kaataa karhun; Pohjolan emäntä piilottaa kuun ja auringon sekä varastaa tulen Kalevalalta; Väinämöinen ja Ilmarinen palauttavat tulen ja Ilmarinen pakottaa Pohjolan emännän palauttamaan auringon ja kuun taivaalle.
Runo 50: Marjatta-jakso: Marjatta tulee raskaaksi syömästään puolukasta ja synnyttää pojan tallissa, vertautuen Neitsyt Mariaan ja Jeesukseen; hänen vanhempansa kiroavat ja hylkäävät hänet; Väinämöinen määrää pojan suolle surmattavaksi; poika alkaa puhua ja soimaa Väinämöistä, muistuttaen tätä nuoruuden synneistä; Virokannas kastaa pojan Karjalan kuninkaaksi; Väinämöinen suuttuu ja purjehtii pois, jättäen perinnöksi soiton ja kanteleen.
Henkilöt
Kalevalan päähenkilö on tietäjäsankari Väinämöinen, jolla on taianomaiset laulun ja soiton lahjat. Hän on ollut osallisena jo maailman luomisessa. Hän soittaa kanteletta, joista tärkein on tehty hauen leukaluusta. Väinämöisen vaimonetsintä on yksi keskeisistä teemoista. Hän ei kuitenkaan koskaan löydä vaimoa — muun muassa yksi neidoista, Joukahaisen sisko Aino, hukuttautuu mieluummin kuin nai Väinämöisen. Väinämöinen osallistuu Sammon ryöstöön Pohjolasta.
Seppo Ilmarinen on sankarillinen seppä, joka vertautuu germaanisen mytologian Weylandiin ja kreikkalaiseen Daidalokseen. Hän rakentaa muun muassa taivaankannen ja Sammon. Hän voittaa vaimokseen Pohjan neidon, jonka Kullervo myöhemmin tappaa. Myös Ilmarinen osallistuu Sammon ryöstöön.
Louhi, Pohjolan emäntä, on šamanistinen Kalevalan viholliskansan Pohjolan matriarkka. Hän lupaa tyttärensä Ilmariselle palkkana Sammon rakentamisesta. Sammon ryöstön jälkeen hän siirtää auringon ja kuun paikoiltaan ja varastaa tulen Kalevalan väeltä.
Joukahainen on Väinämöisen nuori haastaja, joka pelastaakseen itsensä lupaa sisarensa Ainon Väinämöiselle hävittyään laulukilpailun. Joukahainen yrittää kostaa Väinämöiselle surmaamalla tämän. Hänen yrityksensä epäonnistuu, mutta johtaa siihen, että Väinämöinen lupaa rakentaa Sammon Louhelle vastapalveluksena siitä, että tämä pelasti hänet.
Kullervo on Untamolassa kasvanut kaltoinkohdeltu orpolapsi, josta ei julman lapsuuden takia koskaan kasva kunnollista. Hän on epäkelpo orja, jota on mahdoton saada hengiltä. Hän murhaa Ilmarisen vaimon kostoksi leivästä, jonka sisään leivottu kivi särki Kullervon veitsen. Hän löytää kotiinsa Kalervolaan ja viettelee vahingossa sisarensa "sammalvuoteelle". Heidän tunnistettuaan toisensa sisar hukuttautuu säikähtäneenä koskeen ja Kullervo rankaisee itseään lähtemällä sotaretkelle Untamolaan. Tuhottuaan Untamon väen Kullervo palaa kotiinsa ja huomaa koko kotiväkensä kuolleen. Kullervo tappaa itsensä miekallaan.
Lemminkäinen on komea mutta häikäilemätön sankari. Hänen äitinsä joutuu hakemaan hänen ruumiinsa Tuonelan virralta ja palauttamaan hänet henkiin, missä toistuu Osiris-myytti. Lemminkäinen tappaa Pohjolan isännän laulujen ja miekkojen taistelun päätteeksi. Myös Lemminkäinen on mukana ryöstämässä Sampoa.
Maantiede
Kalevalan päätapahtumapaikka on Kalevalan maa eli Väinölä, jossa asuu Väinämöinen ja moni muu päähenkilöistä. Kalevala on kaunis, viljava ja vehreä maa. Kylmä Pohjolan maa on Kalevalan vihollinen. Sitä hallitsee Pohjolan emäntä Louhi, ja siellä asuu myös noitia ja hirviöitä. Metsolassa eli Tapiolassa asuvat eläimet sekä myyttinen metsän väki, jota hallitsevat Tapio ja Mielikki. Veden valtakuntaa Ahtolaa hallitsevat Ahti ja Vellamo. Tuonela eli Manala on kuolleiden valtakunta, joka sijaitsee Tuonelan joen takana.[28]
Kalevalaa ja Pohjolaa on yritetty jo Lönnrotin ajoista alkaen paikallistaa kartalle, ja niiden sijainnista on esitetty useita teorioita. Joidenkin tutkijoiden mukaan kysymys on epäolennainen, ja Pohjola on perustaltaan myyttinen. Jotkut tutkijat kuitenkin näkevät Kalevalassa viitteitä todellisiin paikkoihin. Elias Lönnrot sijoitti Pohjolan Vienanmeren itäpuolelle.[29] Topeliuksen Maamme kirjassa arvellaan Väinölän sijainneen Laatokan etelärannalla ja Pohjolan Laatokan pohjoisrannalla. Kalevalan meri oli kierrettävissä lännen puolelta tai kuljettavissa vesitse, kuten Sammon ryöstössä tapahtuu.[30] Pohjolaa on sijoiteltu myös esimerkiksi Lappiin, Satakuntaan ja Etelä-Pohjanmaalle. Näitä sijoituspaikkoja on perusteltu Kalevalasta löytyvillä paikannimillä. On esimerkiksi havaittu, että Louhi-nimeä esiintyy tiheästi Pohjois-Karjalassa. Tutkijoiden mukaan runojen nimistö on kuitenkin voinut aikojen saatossa muuttua tarinoiden levitessä laulajalta ja seudulta toiselle. On myös esitetty, että Pohjoloita on ollut useita, sillä nimi on aina liitetty toisiin, vihamielisiin ryhmiin tai heimoihin. Matti Klingen mukaan Kalevala sijaitsi Pohjois-Virossa ja Lounais-Suomessa, ja Pohjola Satakunnassa ja Itä-Ruotsissa. Näitä yhdistävä meri, jollaista Karjalassa ei ole, on kansanrunoissa paljon esillä.[29]
Kansallinen ja poliittinen merkitys
Kalevalasta tuli 1800-luvulla Suomen autonomiselle suuriruhtinaskunnalle kansakunnan menneisyyden, kansallisuuden, kielen ja kulttuurin tunnuskuva. Sen varaan alettiin rakentaa suomalaista identiteettiä, joka oli tuolloin vielä heiveröisellä pohjalla. Teos nosti Suomen pienen ja tuntemattoman kansan muiden eurooppalaisten tietoisuuteen.[31] Nationalistisen merkityksensä Kalevala säilytti pitkälle 1900-luvulle saakka.[32]
Kalevalaa on käytetty poliittisiin, ideologisiin ja kulttuurisin tarkoitusperiin jo sen ilmestymisestä lähtien, ja teos on valjastettu eri aikoina ja eri suhdanteista riippuen palvelemaan erilaisia aatteita. Kalevalasta on käyty hegemonista kamppailua siitä, kenelle se ja kalevalainen kulttuuriperintö kuuluvat, ja kuka tai mikä ryhmä sen oikeimmin tulkitsee. 1900-luvun alussa Kalevala pyrittiin sisällyttämään kiinteäksi osaksi työväestön kulttuuritoimintaa. 1930-luvulla eri poliittiset rintamat vahvistivat ideologisia tulkintojaan eepoksesta. Toisen maailmansodan jälkeen alkaneessa poliittisessa kamppailussa suomalaisen kansallisen kulttuurin perinnöstä oli Kalevalan tulkinnoilla keskeinen asema. Kalevalalla on ollut myös osansa Suomen ja Neuvostoliiton yhteistyössä elokuvan muodossa. Aluepoliittisesti kalevalaisen maailman perintö on toisinaan nivelletty alueisiin, niiden identiteetin rakennukseen ja elinkeinoelämään.[33]
Kalevalalla on perusteltu niin sotaisuutta (esimerkiksi Jääkärimarssi: Ja me nousemme kostona Kullervon) kuin rauhanaatettakin (esimerkiksi Ihmisyyden tunnustajat).
Kalevala on myös inspiroinut uuspakanoita, erityisesti 1900-luvun alun kansallisromantiikan inspiroimia Ukon uskon tapaisia ryhmiä. Nykyajan uuspakanat suhtautuvat kuitenkin Kalevalaan kriittisemmin, ja tutkivat mieluummin sen taustalla olevia aitoja kansanrunoja.[34]
Kulttuurivaikutus
Taide ja kirjallisuus
Kalevalalla on ollut suuri vaikutus suomalaiseen taiteeseen erityisesti 1800-luvun loppupuolella ja 1900-luvun alussa. Se on innostanut niin kirjallisuutta, musiikkia kuin kuva- ja veistotaidettakin. Kalevalasta ovat saaneet vaikutteita muun muassa Aleksis Kivi, Eino Leino, Juhani Aho, Robert Kajanus, Jean Sibelius, Oskari Merikanto, Erkki Melartin, Leevi Madetoja, Uuno Klami ja ennen kaikkea Akseli Gallén-Kallela. Kalevala on innoittanut monia kirjailijoita myös Suomen ulkopuolella, muun muassa Henry Wadsworth Longfellowia ja J. R. R. Tolkienia.[35]
Kristian Huitulan sarjakuvasovitus Kalevala (2000) sisältää kaikki Kalevalan 50 runoa alkuperäisellä runomitalla.[36]
Musiikki
Kalevala on kiinnostanut säveltäjiä heti ilmestymisensä jälkeen, ja sen vaikutus on säilynyt tasaisena vuosikymmenten ajan. Vuonna 2008 Kalevala-aiheisia sävellyksiä oli jo noin 500.[37]
Ensimmäinen merkittävä Kalevala-aiheinen sävellys oli Filip von Schantzin Kullervo-alkusoitto, jonka kantaesitys oli vuonna 1860 Helsingissä.[37] Ensimmäinen suomenkielinen Kalevala-oopera ja samalla ensimmäinen suomenkielinen ooppera oli Oskar Merikannon Pohjan neiti (1898), johon pyrittiin saamaan mukaan kaikki Kalevalan keskeisimmät tapahtumat.[38]
Jean Sibelius hyödynsi Kalevalaa monipuolisesti. Hänen teoksiaan ovat Kullervo (1892), Lemminkäinen-sarja, Pohjolan tytär, Tapiola ja Luonnotar.[39]
Uuno Klamin Kalevala-sarja sai kantaesityksensä joulukuussa 1933.[40] Huomattavin 1940-luvulla tehty teemaan liittynyt teos oli Yrjö Kilpisen Kanteletar-laulusarja. Seuraavan vuosikymmenen tunnetuimpiin Kalevala-sävellyksiin lukeutuvat Ahti Sonnisen laulusarja Taivahan takoja ja Jouko Tolosen Notku nuori neitsykäinen.[41] Einojuhani Rautavaara loi vuosina 1975–1985 kolme merkittävää Kalevala-teosta.[42] Aulis Sallinen muun muassa sävelsi Aleksis Kiven Kullervo-näytelmän inspiroimana samannimisen oopperan, josta tuli jopa kansainvälinen menestys.[43]
Suomalaisessa populaarimusiikissa Kalevala-aiheet ovat siirtyneet erityisesti metallimusiikkiin, tunnetuimpana esimerkkinä Amorphis-yhtye.[44]
Televisio ja elokuvat
Ensimmäinen vakava hanke Kalevala-aiheisesta elokuvasta syntyi vuonna 1919, mutta Suomen Filmitaiteen suunnitelmat jäivät kuitenkin toteutamatta. Ensimmäiset filmatisoinnit Häidenvietto Karjalan runomailla (1921) ja Kalevalan mailta (1935) olivat kansatieteellisiä dokumenttielokuvia, joiden aineisto on peräisin kalevalaisesta perinteestä.[45] Häidenviettoa Karjalan runomailla pidetään yleensä ensimmäisenä suomalaisena läpisävellettynä elokuvana. Se herätti myös huomiota ja oli jopa kohtuullinen yleisömenestys.[46] Vaikka se herättikin myönteistä julkisuutta, se ei saanut seuraajia ja se jäi Kalevalaseuran ainoaksi elokuvaksi. Häidenvietto Karjalan runomailla keskittyy yhteen aiheeseen, mutta Kalevan mailta on puolestaan läpileikkaus Karjalassa elävien kalevalaisten tavoista.[47]
Ensimmäinen varsinainen Kalevala-filmatisointi oli suomalais-neuvostoliittolainen yhteistyöelokuva Sampo (1959).[48] Tunnetuimpia animaatoversioita ovat Reino Niinirannan Kalevala (1975) ja Riitta Nelimarkan ja Jaakko Seeckin kuusiosainen Sammon tarina (1971–1974).[49]
Paavo Haavikon TV-sarjanakin tunnettu teos Rauta-aika perustui löyhästi Kalevalaan.[50]
Uudemmat mukaelmat
Kai Nieminen kirjoitti teoksen Kalevala 1999 (Suomalaisen Kirjallisuuden Seura, 1999) Uuden Kalevalan 150-vuotisjuhlan kunniaksi. Teos on kirjoittajan mukaan yritys avata vanhahtavan kielen ja murteellisen ilmaisun lukkoja niin että nykylukija pääsee teokseen sisälle turvautumatta selityksiin.[51]
Käsityöt
Kalevalaa on käytetty inspiraationa myös käsitöissä, Suomi 100 -projektinakin tunnettu Kalevala CAL -peitto yhtenä niistä.
Käännökset
Kalevala oli käännetty vuoteen 2010 mennessä jo 61 kielelle.[52] Ensimmäisten joukossa se käännettiin ruotsiksi (1841, Uusi Kalevala 1864–1868), ranskaksi (1845/1867), venäjäksi (1847/1889), saksaksi (1852), unkariksi (1871), englanniksi (1868, 1888, 1907, 1963, 1989) ja viroksi (1891–1898).[53][54] Vaikka Kalevalan taustalla olevien alkuperäisrunojen kieli on pääasiassa karjalaa, varsinainen karjalankielinen käännös teoksesta saatiin vasta vuonna 2009, kun Karjalan Kielen Seura julkaisi Zinaida Dubininan tekemän käännöksen aunuksenkarjalaksi.[55]
Mystikoiden keskuudessa
Kalevala sisältää arvokasta tietoa suomalaisten ja karjalaisten vanhoista uskomuksista ja myyteistä. Tätä tietoa voivat hyödyntää niin tutkijat kuin maallikotkin. Kalevalan pohjalta on myös kehitetty pitkälle vietyjä olettamuksia ja ajatusleikkejä (esimerkiksi Timo Heikkilän tutkimukset). Kalevalaa ainakin sivuaa myös Ior Bockin teos Bockin perheen saaga, jossa esiintyy Kalevalasta tuttuja nimiä, vaikka itse tarina ei Kalevalan kanssa yhtenevä olekaan.[56]
Pekka Ervast julkaisi vuonna 1916 kirjan Kalevalan avain. Kirjassa Kalevalaa käsitellään pyhänä kirjana, joka sulkee itseensä suurien tietäjien ja viisasten tietoa ja kokemusta. Kalevalan avain tulkitsee Kalevalaa muun muassa mysteeriotiedon, sisäisen siveysopin ja magian näkökulmista. Ervastin tulkinnan mukaan Kalevalassa luovan jumaluuden pyhästä kolminaisuudesta käytetään nimiä Ilmarinen, Lemminkäinen ja Väinämöinen.[57]
Katso myös
Alkumuna
Iso tammi
Kalevalan henkilöt
Väinölä eli Kalevalan maa
Kalevalamitta
Sampo
Suur-Kalevala
Pohjola
Lähteet
Citation error, replace with{{cite book| author = Aho, Kalevi| title = Kalevalan kulttuurihistoria| number = Kalevala ja suomalainen taidemusiikki| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2008| version = Toimittaneet Ulla Piela, Seppo Knuuttila ja Pekka Laaksonen| isbn = 978-952-222-007-3}}
Immonen, Kari & Kallioniemi, Kari & Kärki, Kimi & Laine, Kimmo & Salmi, Hannu: Kalevalasta populaarikulttuuriin. Teoksessa Citation error, replace with{{cite book| title = Kalevalan kulttuurihistoria| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2008| version = Toimittaneet Ulla Piela, Seppo Knuuttila ja Pekka Laaksonen| isbn = 978-952-222-007-3}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Laaksonen, Pekka| title = Suomalaisten symbolit| number = Miten Kalevalasta tuli kansalliseepos?| location = Jyväskylä| publisher = Atena| year = 2005| version = Toimittaneet Tero Halonen ja Laura Aro| isbn = 951-796-394-7}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Piela, Ulla & Knuuttila, Seppo & Laaksonen, Pekka| title = Kalevalan kulttuurihistoria| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2008| version = Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran toimituksia, 1179| isbn = 978-952-222-007-3}}
Viitteet
Kirjallisuutta
Kalevalan painoksia
Citation error, replace with{{cite book| title = Kalevala| location = Porvoo Helsinki| publisher = WSOY| year = 2004| version = Kuvittanut ja painatustyön suunnitellut Akseli Gallen-Kallela. 22. painos (1. painos 1922)| isbn = 978-951-0-24270-4}}
Citation error, replace with{{cite book| title = Kalevala| location = Porvoo Helsinki Juva| publisher = WSOY| year = 1982 (5. painos 1994)| version = Esi- ja selkänimeke: Juhla-Kalevala ja Akseli Gallen-Kallelan Kalevalataide. Koonnut ja eepokseksi luonut Elias Lönnrot. Kuvat ja teoksen somistus: Akseli Gallen-Kallela. Kuvaesseet ja teoksen toimitus: Aivi Gallen-Kallela. Teoksen ulkoasu perustuu vuonna 1922 julkaistuun Akseli Gallen-Kallelan somistamaan Koru-Kalevalaan. 2. painos| isbn = 951-0-11253-4}}
Citation error, replace with{{cite book| title = Kalevala| location = Helsingissä| publisher = Otava| year = 1999| version = Konnut ja eepokseksi luonut Elias Lönnrot. Kuvittanut Hannu Väisänen| isbn = 951-1-16061-3}}
Citation error, replace with{{cite book| title = Kalevala| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2005| version = Koonnut Elias Lönnrot. Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran toimituksia 14 (31. painos)| isbn = 951-746-669-2}}
Elias Lönnrot. Kuvittaneet Aarno Karimo ja Hugo Otava. Helsinki: Pellervo-seura, 1953.
Mukaelmia
Citation error, replace with{{cite book| author = Kunnas, Mauri & Kunnas, Tarja| title = Koirien Kalevala| location = Helsingissä| publisher = Otava| year = 1992 (15. painos 2007)| isbn = 951-1-12244-4}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Mäkinen, Kirsti| title = Suomen lasten Kalevala| location = Helsingissä| publisher = Otava| year = 2002| version = Kertonut Kirsti Mäkinen. Kuvittanut Pirkko-Liisa Surojegin| isbn = 951-1-17468-1}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Nieminen, Kai| title = Kalevala. Nyt| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2011| version = Elias Lönnrotin 1849 ilmestyneen Kalevalan pohjalta kirjoittanut Kai Nieminen. 2. uudistettu painos. Uudistettu laitos teoksesta Kalevala 1999. Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran toimituksia, 1326| isbn = 978-952-222-295-4}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Pottonen, Risto| title = Kalevala suomeksi| location = Helsinki| publisher = Books on Demand| year = 2009| isbn = 978-952-498-748-6}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Rintala, Aulis| title = Kalevala nykysuomeksi| location = Tampere| publisher = Pilot-kustannus| year = 2006| version = Muokannut Aulis Rintala| isbn = 952-464-408-8}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Tolkien, J. R. R. (toim. Fliegler, Verlyn)| title = Kullervon tarina| others = Translated by Juva, Kersti, Kankaanpää, Jaakko & Martin, Alice| location = Helsinki| publisher = WSOY| year = 2016| version = (The Story of Kullervo, 2015, kirjoitettu 1912–1914.)| id = ISBN 978-951-0-41845-1}}
Muuta kirjallisuutta
Citation error, replace with{{cite book| author = Anttonen, Pertti & Kuusi, Matti| title = Kalevala-lipas| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 1999| version = Uusi laitos (1. laitos 1985). Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran toimituksia, 740| isbn = 951-746-045-7}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Heikkinen, Reijo| title = Kalevalaista luontoa| publisher = Arcticmedia| year = 2009| version = Kuvat Hannu Hautala| isbn = 978-951-98612-5-8}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Jussila, Raimo| title = Kalevalan sanakirja| location = Helsingissä| publisher = Otava| year = 2009| isbn = 978-951-1-23222-3}}
Citation error, replace with{{cite book| title = Kalevala ja opas sen lukemiseen| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2015| version = Kaaviot, toimitustyö: Liisa Kaski| isbn = 978-952-222-579-5}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Ojanperä, Riitta (toim.)| title = Kalevala kuvissa| location = Helsinki| publisher = Valtion taidemuseo, Ateneumin taidemuseo| year = 2009| version = Ateneumin julkaisut, 55| isbn = 978-951-53-3154-0}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Pentikäinen, Juha| title = Kalevalan mytologia| location = Helsinki| publisher = Gaudeamus| year = 1987| isbn = 951-662-403-0}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Piela, Ulla & Knuuttila, Seppo & Kupiainen, Tarja (toim.)| title = Kalevalan hyvät ja hävyttömät| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 1999| version = Suomalaisen Kirjallisuuden Seuran toimituksia, 746| id = ISBN 951-746-089-9}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Siikala, Anna-Leena| title = Itämerensuomalaisten mytologia| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 2012| isbn = 978-952-222-393-7}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Turunen, Aimo| title = Kalevalan sanakirja| location = Helsinki| publisher = Suomalaisen Kirjallisuuden Seura| year = 1949}}
Aiheesta muualla
(Kalevalaseura)
Kalevala-sivusto koululaisille – ja muillekin (Kalevalaseura)
(Project Gutenberg)
(Project Gutenberg)
Kalewala taikka wanhoja Karjalan runoja Suomen kansan muinosista ajoista. Vuonna 1835 ilmestynyt nk. Vanha Kalevala. Kansalliskirjaston kappaleen digitaalinen kopio.
-tietopaketti, Suomalaisen Kirjallisuuden Seura, 1998.
Ylen Elävä arkisto
*
Luokka:Luomistarut
Luokka:1830-luvun kirjat
Luokka:Seulonnan keskeiset artikkelit
Luokka:Elias Lönnrotin teokset
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Kalevala |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
378,
685,
726,
831,
906,
1047,
1365,
1482,
1580,
1711
],
"plaintext_end_byte": [
377,
684,
725,
830,
905,
1046,
1364,
1447,
1579,
1693,
1739
]
} | Je,uti wa mgongo kwa kilatini inaitwaje? | Mnyama | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Wanyama (jina la kisayansi ni animalia na hutoka katika Kilatini) ni viumbehai wasio mmea, kuvu, bakteria, protista au arkea. Vile vile tunaweza kusema wanyama ni viumbehai wanaotegemea chakula kutoka sehemu nyingine: wao hawana uwezo wa kujitengenezea chakula chao wenyewe kupitia usanisinuru (nishati ya jua) lakini kutoka kwa viumbehai vingine ama wanyama wengine au mimea.
Kufuatana na aina ya chakula tunatofautisha hasa wanaokula mimea wanaoitwa walamani au walamea (kwa Kiingereza: herbivorous) na wanaokula nyama wanaoitwa walanyama au wagwizi (ing. carnivorous). Kuna pia walavyote (ing. omnivorous) wanaoweza kula kila kitu, ama mimea ama wanyama wengine (ing. omnivorous).
Wanyama wanahitaji oksijeni kwa kupumua.
Wanyama walio wengi hutembea yaani hubadilisha mahali wanapokaa, kwa hiyo wanahitaji milango ya maarifa.
Sayansi inayochunguza wanyama huitwa zuolojia, ambayo ni tawi la biolojia.
Aina za wanyama ni nyingi sana. Mara nyingi aina zao zinatofautishwa kama ni wanyama wenye seli nyingi (metazoa) au seli moja (protozoa) tu.
Kuna wanyama wanaoishi peke yao, katika vikundi na jamii. Mfano wa wanyama wanaoishi peke yao ni kifaru au nyoka. Wanajumuika kwa tendo la kuzaa pekee. Mfano wa wanyama wa jumuiya ni simba wanaokaa na kuwinda pamoja. Ushirikiano unasaidia kupata chakula bora. Mfano wa wanyama katika jamii ni nyuki na wadudu wengine.
Upande wa mwili hata binadamu ni mnyama na kimaumbile anahesabiwa kati ya mamalia.
Binadamu hutofautisha mara nyingi
Wanyama wa pori au wanyamapori
Wanyama wa kufugwa au Mifugo
Wanyama wa nyumbani (Wanyama-kipenzi)
ingawa lugha hii hutumiwa tu kwa wanyama wakubwa zaidi, kwa kawaida wenye uti wa mgongo (kwa Kilatini: Chordata).
Viungo vya nje
Jamii:Wanyama
Jamii:Biolojia | https://sw.wikipedia.org/wiki/Mnyama |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
289,
485,
686,
740,
1174
],
"plaintext_end_byte": [
288,
484,
685,
731,
1142,
1321
]
} | Mitä Peter Benenson on opiskellut? | Irene Khan | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Irene Zubaida Khan (s. 24. joulukuuta 1956 Dhaka, Itä-Pakistan (nyk. Bangladesh)) on ihmisoikeusaktivisti. Hän toimi Amnesty Internationalin seitsemäntenä pääsihteerinä vuosina 2001–2009. Hän oli virassa ensimmäinen nainen, ensimmäinen aasialainen ja ensimmäinen muslimi.[1]
Koulutukseltaan Khan on juristi. Uransa alussa hän työskenteli juristien ihmisoikeusjärjestössä, sen jälkeen 20 vuotta Yhdistyneiden kansakuntien ihmisoikeuskomission (UNCHR) palveluksessa.
Khan muutti 14-vuotiaana Bangladeshin itsenäistymisen melskeiden vuoksi kouluun Pohjois-Irlantiin ja opiskeli sen jälkeen Englannissa. Hänen puolisonsa on saksalainen, ja heillä on yksi tytär.[2]
Khan sai Sydneyn rauhanpalkinnon vuonna 2006.
Teokset
Citation error, replace with{{cite book| author = Khan, Irene & Petrasek, David| title = Kohtalona köyhyys? Miten oikeuksien puute syventää köyhyyttä| location = Helsinki| publisher = WSOY: Amnesty International| year = 2009| version = (The unheard truth: Poverty and human rights, 2009.) Esipuhe: Kofi Annan. Alkusanat: Frank Johansson. Suomentanut Lauri Itäkangas| id = ISBN 978-951-0-35494-0}}
Aiheesta muualla
Lähteet
Luokka:Bangladeshilaiset henkilöt
Luokka:Ihmisoikeusaktivistit
Luokka:Vuonna 1956 syntyneet
Luokka:Elävät henkilöt
Luokka:Amnesty International
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Irene%20Khan |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
165
],
"plaintext_end_byte": [
143,
2218
]
} | 스페인의 국화는 무엇인가? | 나라꽃 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
988
],
"minimal_answers_end_byte": [
1000
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | 나라꽃</b>은 한 나라의 상징으로서 온 국민이 애중히 여기는 꽃이나 식물을 말한다. 국화(國花)라고도 한다.
각 나라의 국화
과테말라 - 리카스테난스
그리스 - 향제비꽃
남아프리카 공화국 - 프로테아
네덜란드 - 튤립
네팔 - 만병초
뉴질랜드 - 회화나무
대한민국 - 무궁화
도미니카 공화국 - 마호가니
독일 - 수레국화
덴마크 - 토끼풀
라오스 - 플루메리아
러시아 - 카밀레
레바논 - 레바논 삼나무(백향목)
루마니아 - 백장미
마다가스카르 - 부채잎 파초
말레이시아 - 부상화
멕시코 - 달리아
모나코 - 카네이션
미국 - 장미[1][2]
미얀마 - 사라수
바티칸 - 나팔나리
베네수엘라 - 타베비아
베트남 - 연꽃
벨기에 - 아잘레아
볼리비아 - 꽃고비
불가리아 - 장미
브라질 - 카틀레아
사우디아라비아 - 대추야자
스리랑카 - 연꽃
스위스 - 에델바이스
스페인 - 오렌지꽃
시리아 - 아네모네
싱가포르 - 난
아르메니아 - 아네모네
아르헨티나 - 피토라카
아일랜드 - 흰 클로버
아프가니스탄 - 튤립
영국 - 장미
예멘 - 커피나무
오스트레일리아 - 아카시아
오스트리아 - 에델바이스
우루과이 - 에리스리나
에티오피아 - 칼라디움
이란 - 튤립
이스라엘 - 올리브
이집트 - 수련
이탈리아 - 데이지
인도 - 양귀비
인도네시아 - 보르네오 재스민, 난초, 라플레시아
일본 - 일본은 공식적인 나라꽃이 없으며 국화가 황실을 상징함. (일본 국화를 벚꽃이라고 알고 있는 사람이 많은데 일본 사람들이 가장 좋아하는 꽃이 벚꽃일뿐 국화는 아님.)
조선민주주의인민공화국(북한) - 함박꽃나무
중화민국 - 매화
체코 - 타리아
칠레 - 동백꽃
카메룬 - 수련
캄보디아 - 수련
캐나다 - 사탕단풍
콜롬비아 - 카틀레야
쿠바 - 진저
태국 - 라차프륵
터키 - 튤립
튀니지 - 재스민
파나마 - 파나마초
파키스탄 - 수선화
페루 - 해바라기
포르투갈 - 라벤듈라
폴란드 - 팬지
프랑스 - 아이리스
핀란드 - 은방울꽃
필리핀 - 재스민
각주
외부 링크
꽃
분류:꽃
| https://ko.wikipedia.org/wiki/%EB%82%98%EB%9D%BC%EA%BD%83 |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
1792,
2125,
3586,
5038,
6576,
7634,
8235,
10039,
12615,
14069,
15781,
16928,
17951,
19279,
19534,
19775,
20463,
21265,
22015,
24169,
27159,
28866,
28912
],
"plaintext_end_byte": [
1791,
2084,
3585,
5037,
6575,
7633,
8200,
10000,
12601,
14049,
15758,
16927,
17808,
19278,
19533,
19748,
20462,
21217,
22014,
24168,
27158,
28675,
28909,
29634
]
} | দ্য লাঞ্চবক্স চলচ্চিত্রটির নির্মাতা কে ? | দ্য লাঞ্চবক্স | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
211
],
"minimal_answers_end_byte": [
242
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
দ্য লাঞ্চবক্স ২০১৩ সালের একটি ভারতীয় রোমান্টিক চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেছেন রিতেশ বাটরা এবং প্রযোজনায় গুণীত মোঙ্গা, অনুরাগ কাশ্যপ ও অরুণ রঙ্গচারী। ডার, ইউটিভি, ধর্ম প্রোডাকশনস, শিক্ষা এন্টারটেইনমেন্ট, এনএফডিসি সহ আরো কয়েকটি স্টুডিও যৌথভাবে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করে।[1] এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান খান, নিমরাত কাউর এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচকদের সপ্তাহে প্রদর্শিত হয় এবং পরবর্তীতে তা ক্রিটিকস উইক ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার তথা গ্র্যান্ড রেল ডি'অর জিতে নেয়।[2] এটি ২০১৩ সালের টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হয়।[3] ভারতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হয় সেবছর ২০ সেপ্টেম্বরে।[4] বক্স অফিসে এটি সাফল্য লাভ করে।[5]
দ্য লাঞ্চবক্স ২০১৫ সালে ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনীত হয়।[6]
কাহিনীসংক্ষেপ
সজন ফার্নান্দেস (ইরফান খান) একজন বিপত্নীক যে একাউন্টেন্ট হিসেবে কিছুদিনের মধ্যে অবসর নেবে। ইলা (নিমরাত কাউর) এক তরুণী স্ত্রী যে তার স্বামীর (নকুল ভাইদ) মনোযোগ পেতে চায় এবং বিভিন্নভাবে তাদের দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে; যেমন তার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করে। কিন্তু তার স্বামীর জন্য পাঠানো লাঞ্চবক্স (ডাব্বা) মুম্বাইয়ের "ডাব্বাওয়ালাদের" ভুলে চলে যায় সজনের কাছে। ইলা পরে ভুল বুঝতে পেরে ওপরতলার আন্টির (ভারতী আচরেকার - শুধু কন্ঠ) বুদ্ধিমতো সজনকে একটি চিঠি লেখে এবং পরদিন স্বামীর প্রিয় খাবার রেঁধে লাঞ্চবক্সে চিঠিসহ পাঠিয়ে দেয়।
তাদের মধ্যে চিঠি বিনিময় হয়, তারা চিঠিতে তাদের পুরনো দিনের কথা শেয়ার করে, নিজেদের জীবনের ঘটনাগুলো নিয়ে আলাপ করে, এবং লাঞ্চের সাথে সাথে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরমধ্যে অফিসে সজন তার পদের বদলি লোক শাইখকে (নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী) কাজ শেখানোর দায়িত্ব পায়। শাইখের ভুলেভরা অপটু কাজে সজন প্রথমে বেশ বিরক্ত হয়, স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই সে সামাজিকভাবে সবার সাথে দূরত্ব রাখতো। একবার সে বেতন অর্ডারে শাইখের বড় বড় কয়েকটা ভুলের জন্য নিজে দায় নিয়ে তার চাকরি বাঁচিয়ে দেয়। শাইখের সাথে মেহেরুন্নিসার (শ্রুতি বপ্না) বিয়েতেও তিনি বরপক্ষে অংশ নেন।
এদিকে বাসায় ইলা আবিস্কার করে যে তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে, সে তার বিয়ে নিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। লাঞ্চবক্সে পাঠানো একটি চিঠিতে সে ভুটানে চলে যাবার কথা বলে যেখানে জীবনযাত্রার খরচ ভারতের চেয়ে অনেক কম। সজন জবাবে লেখে যে সেও তার সাথে যেতে পারে। ইলা তখন এক রেস্তোরাঁয় তাদের প্রথমবারের মতো দেখা করার প্রস্তাব দেয়, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে সজন হাজির হয়নি। পরদিন খালি লাঞ্চবক্স পেয়ে অভিমানী ইলাকে সে লেখে যে, সে আসলে গিয়েছিল, দূরে বসে তাকে দেখেছে কিন্তু আর এগোয়নি। কারণ ইলাকে তার এতো তরুণ ও সুন্দর লাগছিলো যে নিজেকে অনেক বয়স্ক মনে হচ্ছিলো; তাই সে মনে করেছে সম্পর্ক না হলেই ভালো।
কিছুদিন পরে ইলার বাবা ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। তার অসুস্থাবস্থায় ইলার মা (লিলেত্তে দুবে) নিবেদিতভাবে সেবা করেছেন। কিন্তু পরে তিনি স্বীকার করেন যে বিবাহিত জীবনে কতো অসুখী ছিলেন। এরপর ইলা সজনের খোঁজে বের হয়, কিন্তু শাইখের কাছে জানতে পারে যে সে ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছে এবং নাশিকের পথে রওনা হয়েছে। সজনের জন্য সে তার শেষ চিঠিতে লেখে যে সে স্বামীকে ত্যাগ করে তার ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ভুটানে চলে যাবে।
ইত্যবসরে নাশিকের পথে যেতে যেতে সজনের মন বদলায়, আবার মুম্বাইয়ে ফিরে আসে ইলার খোঁজে - শেষবার যাকে দেখা গেছে মেয়ের স্কুল থেকে ফেরার অপেক্ষায় - সজন ডাব্বাওয়ালার সাহায্য নেয় যে প্রতিদিন পৌঁছে দিত সেই লাঞ্চবক্সটি।
শ্রেষ্টাংশে
ইরফান খান - সজন ফার্নান্দেস
নিমরাত কাউর - ইলা
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী - শাইখ
ডেনজিল স্মিথ - মি. শ্রফ, সজনের অফিসের বড়কর্তা
ভারতী আচরেকার (শুধু কণ্ঠ) - মিসেস. দেশপাণ্ডে, ইলার প্রতিবেশী
নকুল ভাইদ - রাজিব, ইলার স্বামী
যশভী পুনীত নগর - যশভী
লিলেতে দুবে - ইলার মা
শ্রুতি বপ্না - মেহরুন্নিসা, শাইখের স্ত্রী
নাসির খান - ইলার বাবা
লোকেশ রাই - ডিউকের মালিক
সদাশিব কোন্দাজী পোকারকার - ইলার বাড়ির ডাব্বাওয়ালা
আরতি রাথোড় - সজনের প্রতিবেশী
ঋষি রাজ মোরে - ইলার ভাই
কৃষ্ণা বাই - লোকাল ট্রেনের দাঁতপড়া বুড়ি
সন্তোষ কুমার চৌরাশিয়া - অটোরিকশাচালক
স্বপ্নীল শ্রীরাও - ডিউকের ওয়েটার
বাবুরাও শঙ্কপাল - সজনের অফিসের ডাব্বাওয়ালা
মহেশ মহাদেব সালাভকার - অফিসের পিয়ন
অভিজিৎ খানভিলকর - লোকাল ট্রেনের তরুণ
নির্মাণ
বিকাশ
রিতেশ বাটরা এর আগে নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দ্য মর্নিং রিচুয়াল, গরীব নওয়াজ কি ট্রাক্সি, ক্যাফে রেগুলার ও কায়রো। এবার তিনি মুম্বাইয়ের বিখ্যাত লাঞ্চবক্স ডেলিভারি ব্যবস্থার দক্ষ ডাব্বাওয়ালাদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য গবেষণা শুরু করেন। তবে ২০০৭ সালে তাদের সাথে এক সপ্তাহ কাটানোর পর তিনি অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যক্তিগত গল্প জানতে পারেন যেগুলো তারা বাসার বাইরে দাঁড়ানোর সময় শুনে ফেলে। এই আইডিয়া থেকে তার চলচ্চিত্র তৈরির কথা মাথায় আসে এবং প্রামাণ্যচিত্র বানাবার বদলে তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন।[4][7] যথাসময়ে চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে শিখ্যা এন্টারটেইনমেন্ট, ডার মোশন পিকচাল্স, ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কল্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনএফডিসি, ভারত), আরওএইচ ফিল্মস (জার্মানি), এএসএপি ফিল্মস (ফ্রান্স) এবং যুক্তরাষ্ট্রে লিডিয়া ডীন পিলচারের সাইন মোজাইক, যিনি এর আগে প্রযোজনা করেছেন দ্য ট্যালেন্টেড মি. রিপলি (১৯৯৯) এবং দ্য নেমসেক (২০০৭); আর জার্মানির ম্যাচ ফ্যাক্টরি চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সেলস এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।[1][8]
লেখা
বাটরা চিত্রনাট্যের প্রথম খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন ২০১১ সালে।[7] তাকে সাহায্য করেন রাটভিক ওঝা।[9] খসড়াটি ২০১২ সালের রোটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেমার্টে একটি অনারেবল জুরি মেনশন পরস্কার অর্জন করে। তারপর প্রকল্পটি বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উসবের ট্যালেন্ট প্রজেক্ট মার্কেটের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং টোরিনো ফিল্ম ফেস্টিভালের স্ক্রিনরাইটার্স ল্যাব (টোরিনো ফিল্ম ল্যাব) কিছু পরামর্শ দেয়।[8] নিমরাত কাউর অভিনীত ইলা চরিত্রটি শুটিংয়ের ছয় মাস আগে এবং নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর চরিত্রটি শুটিয়ের সময় উন্নয়ন করা হয়।[7]
অভিনয়
ইরফান খান চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য এবং তার চরিত্রটির ধারণাটি পছন্দ করেন, যে কিনা কথা বলে কম কিন্তু বলে চিঠিতে। বাটরার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো দেখে এবং কয়েকবার মিটিংয়ের পর তিনি কাজ করতে রাজি হন। বাটরা অনেকদিন থেকেই নওয়াজউদ্দিনের সাথে কাজ করতে চাচ্ছিলেন চলচ্চিত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য। প্রধান নারী চরিত্রটির জন্য বেশ কয়েকটি অডাশন হয় এবং শেষমেশ নিমরাত কাউর নির্বাচিত হন। মুম্বাই থিয়েটারে কাউরের ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল এবং পেডলার্স-এর মতো চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন।[7][8] এছাড়া চলচ্চিত্রটির জন্য গবেষণা করতে গিয়ে যে ডাব্বাওয়ালাদের সাথে পরিচালকের বন্ধুত্ব হয়েছিলো তারাও কয়েকটি গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন।[4]
ফিল্মিং
চলচ্চিত্রটির শুটিং করা হয় ২০১২ সালে মুম্বাইয়ে[7] ₹২২০মিলিয়ন রুপির বাজেটে। ফিল্মিংয়ের পূর্বে অভিনেতারা ছয় মাস রিহার্সাল করেছেন। আরি অ্যালেক্সা ফিল্ম ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবিটি শুট করা হয়।[8] অনেক দৃশ্যই টুকরো টুকরো করে করা হয় যেন শেষ মুহূর্তে লোকেশন বদলালেও অসুবিধা না হয়। রিতেশ বাটরার জানান যে, ট্রেনের দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে কেবল একটিমাত্র কম্পার্টমেন্টে এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রকৃত যাত্রীদেরও ছবিতে রাখা হয়েছে।[10]
মূল ফটোগ্রাফি শেষ হয় ২৯ দিনে, তবে চলচ্চিত্রের অধিকাংশ দৃশ্যই তিন সপ্তাহের মধ্যে শুট করা হয়ে যায়। এরপর প্রামাণ্যচিত্রের মতো করে ফুটেজ ধারণ করা হয়। মুম্বাইয়ের নামকরা ডাব্বাওয়ালাদেরকে আসল খাবারভরা লাঞ্চবক্স দেওয়া হয় ডেলিভারি করার জন্য এবং ছবির চারজন কলাকুশলী তাদের অনুসরণ করে প্রামাণ্যচিত্রের স্টাইলে দৃশ্যধারণ করেন।[8][11][12]
মুক্তি এবং প্রতিক্রিয়া
প্রদর্শনী ও চলচ্চিত্র উৎসবে
২০১৩-র ১৯ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক সমালোচক সপ্তাহে চলচ্চিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী হয় যেখানে এটি ইতিবাচক রিভিউ পায় এবং দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে একে অভ্যর্থনা জানান।[13][14][15] পাশাপাশি এটি গ্র্যান্ড রেল ডি'অর নামে পরিচিত ক্রিটিকস উইক ভিউর
য়ার্স চয়েস পুরস্কার জিতে নেয়।[16] ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনে এটিকে বলা হয় "শিক্ষানবিশ পরিচালক-চিত্রনাট্যকার রিতেশ বাটরার উল্লেখযোগ্য অভিষেক", "মনসুন ওয়েডিং ছবির সমন্বিত আবেদনময়তা" সৃষ্টির জন্য, আর তাতে ইরফান খান এবং নিমরাত কাউরের অভিনয়েরও প্রশংসা করা হয়।[17]
পরবর্তীতে উত্তর আমেরিকায় চলচ্চিত্রটি পরিবেশনের সব স্বত্ব নিয়ে নেয় সনি পিকচার্স ক্লাসিকস।[1]
ভারতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩-তে ৪০০-র বেশি প্রেক্ষাগৃহে।[18][19]
বক্স অফিস
দ্য লাঞ্চবক্স ভারতে মুক্তির পর প্রথম সাপ্তহিক ছুটির দিনে আয় করে ₹৭১মিলিয়ন,[18][20] এবং প্রথম সপ্তাহে করে ₹১১০মিলিয়ন রুপি।[21] পরের কয়েক সপ্তাহে এটি লক্ষণীয় পরিমাণে আয় করতে থাকে, প্রথম তিন সপ্তাহে ₹২০০মিলিয়ন এবং আরেক হিসাবমতে চতুর্থ সপ্তাহান্তে ₹৪০–৫০লাখ।[22]
যুক্তরাষ্ট্রে দ্য লাঞ্চবক্স উপার্জন করে $৪.২৩মিলিয়ন, এবং ক্যান্টিনফ্লাস ও পিকের পর এটি ছিল ২০১৪ সালের সর্বোচ্চ আয় করা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র।[23][24] ২০১৪ সালের ২৮ মে পর্যন্ত চলচ্চিত্রটির বৈশ্বিক আয় ছিল ₹84.92 crore (US$12million)।[25] আর মুক্তির পর পুরোটা সময়ে সারাবিশ্বে এটি উপার্জন করে ₹100.85 crore (US$15million)।[26]
সমালোচকদের সমাদর
সমালোচক-রিভিউয়ের সংকলক রটেন টোমাটোস ৯৪ জন সমালোচকের রিভিউয়ের ভিত্তিতে চলচ্চিত্রটিকে ৯৬% স্কোর দেয় এবং গড় রেটিং দেয়া হয় ৭.৭/১০। সাইটটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মত ছিল: "উষ্ণ, স্নেহময় এবং মিষ্টি তবে রুচিকে ক্লান্ত না করে, প্রথমবারের পরিচালক রিতেশ বাটরার দ্য লাঞ্চবক্স এক কৌশলী মনোরঞ্জক।"[27]
সিএনএন-আইবিএনের সমালোচক রাজীব মাসান্দ ছবিটিকে ৫/৫ রেটিং দিয়ে বলেনষযে, "মহত্তম ভালোবাসার গল্প সেগুলোই যেগুলোতে তুমি চাও যে তারা পরস্পরের কাছে আসুক, তাদের ভাগ্য যদিও অনযরকম। ভালোবাসা কীভাবে অসম্ভবকে বদলে দেয় তা এই ছবিতে চিত্রিত হয়েছে।"[28] কলকাতার দ্য টেলিগ্রাফের প্রীতম ডি. গুপ্ত দ্য লাঞ্চবক্স</i>কে অভিনন্দিত করেছেন এবং বলেছেন, এতৌ গতিশীল এবং নির্বাক একটি ভালোবাসার গল্প যে এটি যেন একাকীত্বের এক প্রলুব্ধকর চিত্রায়ণ।[29] বলিউড হাঙ্গামার তরণ আদর্শ চলচ্চিত্রটিকে ৪/৫ রেটিং দিয়েছেন, বলেছেন, "পুরনো দিনের একটি সুকথিত রোমান্স, দ্য লাঞ্চবক্স গ্রন্থিমোচন করেছে লোকজনের প্রতিদিনকার কষ্ট, যাতনা, ভয় এবং আশার কথা, সেই চাকচিক্য এড়িয়ে যেটা আজ মুম্বাই শহরের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।[30] মুম্বাই মিররের করণ অংশুমান একদম ৫/৫ স্কোর দিয়ে জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রটি ছিল "ভারতে বহু বছরের মধ্যে নির্মিত শ্রেষ্ঠতম ছবিগুলোর অন্যতম।"[31]
রেডিফ ডটকমের রাজা সেন ছবিটির আরো প্রশংসা করেন, আরেকটি নিটোল ৫/৫ স্কোর দিয়ে এবং বলেছেন, "বাটরা, দ্য লাঞ্চবক্স-এর গব্পটিও যার লেখা, তার চমৎকার অভিনেতাদেরকে উপস্থিত কাজ করার বিস্ময়কর সুযোগ দিয়েছেন, নিজে পুরোটা সময় ছিলেন শহরের খুঁটিনাটি চিত্রায়ণে, খাবার-বহনকারীরা এবং সমাজের নানা বৈষম্য যেগুলোতে মুম্বাই ঠাসা।"[32] ইয়ুথ টাইমসের আদিত্য গ্রোভার একে ৪/৫ তারকা দেন এবং বলেন যে, "আপনে যদি সত্যিকার চলমান সিনেমা দখার মুডে থাকেন, তবে দ্য লাঞ্চবক্স উপাদেয় এবং তৃপ্তিকর। থিয়েটার থেকে বেরুনোর পরেও বহুকাল এই লাঞ্চবক্সের স্বাদ আপনার মুখে লেখে থাকবে। চলুন দেখতে![33]
দি এশিয়ান এজের সুপর্ণা শর্মা এটিকে ৫ এর মধ্যে ৪ রেটিং দিয়েছেন এবং বলেছেন: "দ্য লাঞ্চবক্স একটি মৃদুমন্দ স্পন্দিত এক মধুর-করুণ গল্প, একাকীত্বের ও ভালোবাসার। ছবিটিতে তিনজন নারী আছে তিনটি বিয়েতে, যার মধ্যে দুজন অসুস্থ। তৃতীয়জন প্রায় শেষ বয়সে, কেবল শেষকৃত্যটুকুই যেন বাকি। দদুজন পুরুষ আছে ছবিটিতে — একজন যে পুরো জীবন পার করেছে, এখন নীরবে পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে; অন্যজন জীবন শুরু করতে উৎসাহী। যে বিষয়টি একইসাথে মর্মান্তিক ও স্বস্তিদায়ক, তা হলো যা ছবিটি আমাদের দেখায় — জীবনে ফিরে আসার জন্য আত্মার বেশি কিছু লাগে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, একটু আশাই যথেষ্ট।"[34]
সানডে গার্জিয়ান-এর তৃষা গুপ্ত লিখেছেন "দ্য লাঞ্চবক্স একটি ছোট্ট মনোরম চলচ্চিত্র। তবে এটা কেবল বক্সটি নিয়েই এগিয়ে চলে যা হয়তো উৎসবের দর্শকদের কাছে আবেদন পৌঁছাতে পারবে: উদ্ভট এশীয় শহুরেজীবন (মুম্বাই ট্রেন, ডাব্বা সরবরাহ), ভারতীয় ঘরে রান্না, রোমান্স। যথেষ্ট পরিমাণ স্বতন্ত্র হবার পরিবর্তে এটা স্থানীয় রঙ মেখে নিয়েছে।"[35] শিকাগো রিডারের জন্যে একটু কম ইতিবাচক রিভিউতে জে আর জোনস নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও ভারতী আচরেকারের চরিত্রদ্বয় শাইখ এবং মিসেস দেশপান্ডের দিকে ইঙ্গিত করে চলচ্চিত্রটিকে একটি গিমিক বলেছেন এবং এতে "গা-জ্বালানো হাস্যরসের" অতিরঞ্জনের সমালোচনা করেছেন।[36]
সম্মাননা
আরো দেখুন
২০১৩ সালের ভারতীয় চলচ্চিত্র
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
at Bollywood Hungama
at Rotten Tomatoes
বিষয়শ্রেণী:২০১৩-এর চলচ্চিত্র
বিষয়শ্রেণী:পরিচালকের অভিষেক চলচ্চিত্র
বিষয়শ্রেণী:রিতেশ বাটরা অভিনীত চলচ্চিত্র
বিষয়শ্রেণী:মুম্বাইয়ে অভিনীত চলচ্চিত্র
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নাট্য চলচ্চিত্র
বিষয়শ্রেণী:সনি পিকচার্স ক্লাসিকস চলচ্চিত্র
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%20%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8 |
{
"plaintext_start_byte": [
17,
1085,
2203,
2689,
3825,
5270,
5947,
6277,
7315,
7605,
8808,
10015,
10541,
10607,
11640,
11934,
12127,
13396,
13591,
13722,
14680,
14783,
15017,
15235,
15608,
16739,
17310,
17968,
18667,
19145,
19679,
21086,
21466,
22350,
23282,
24009
],
"plaintext_end_byte": [
1084,
2202,
2682,
3815,
5269,
5946,
6276,
7292,
7556,
8777,
9996,
10540,
10606,
11639,
11915,
12126,
13369,
13590,
13711,
14640,
14782,
14992,
15234,
15595,
16738,
17309,
17967,
18666,
19144,
19629,
21059,
21465,
22349,
23281,
23999,
24094
]
} | How many people have gotten sick from the Armley asbestos disaster? | Camelford water pollution incident | english | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Coordinates:
The Camelford water pollution incident involved the accidental contamination of the drinking water supply to the town of Camelford, Cornwall, in July 1988. Twenty tonnes of aluminium sulphate was inadvertently added to the water supply, raising the concentration to 3,000 times the admissible level. As the aluminium sulphate broke down it produced several tonnes of sulphuric acid which "stripped a cocktail of chemicals from the pipe networks as well as lead and copper piping in people’s homes."[1][2] Many people who came into contact with the contaminated water experienced a range of short-term health effects,[3] and many victims suffered long-term effects whose implications remained unclear as of 2012. There has been no rigorous examination or monitoring of the health of the victims since the incident, which is Britain's worst mass poisoning event.[4][5][6] Inquests on people who died many years later found very high levels of aluminium in the brain. Dame Barbara Clayton led a Royal Commission on Environmental Pollution enquiry into the incident.[7]
Immediately after the contamination the authorities said that the water was safe to drink, possibly with juice to cover the unpleasant taste. In an inquest in 2012 into the death of one of the victims, the coroner stated that South West Water Authority had been "gambling with as many as 20,000 lives" when they failed to inform the public about the poisoning for 16 days, a delay he called unacceptable.[5] In the aftermath of the contamination the public were reassured that there was no risk to health. There were allegations of a cover-up and West Somerset Coroner Michael Rose stated: "I found there was a deliberate policy to not advise the public of the true nature until some 16 days after the occurrence of the incident."[8] Following an investigation by the government's Committee on Toxicity of Chemicals in Food, Consumer Products and the Environment, Michael Meacher, the former Environment Minister, claimed that "various associated bodies tried to bury the inquiry from the start." Meacher told one newspaper: "This has become a tug of war between the truth and an attempt to silence the truth."[9][10]
An April 2013 report by the Lowermoor subgroup of the Committee on Toxicity of Chemicals in Food, Consumer Products and the Environment concluded that exposure to the chemicals was unlikely to cause "delayed or persistent harm" and was also unlikely to cause future ill health.[11][12] In September 2013 the government admitted that there had been a "manifest failure to give prompt appropriate advice and information to affected consumers" and offered an unreserved apology.[13]
Cause
On 6 July 1988, John Stephens, a relief tanker driver working for ISC Chemicals, a Bristol-based subsidiary of Rio Tinto Zinc, arrived at Lowermoor Water Treatment Works on Bodmin Moor and found it unmanned.[14] Being unfamiliar with the location, he had been given a key by another driver and told simply that "once inside the gate, the aluminium sulphate tank is on the left". However, the key fitted almost every lock used by the South West Water Authority (SWWA). After twenty minutes looking for the correct tank he tried the key on a manhole cover and when it unlocked believed he had accessed the correct tank.[14] He poured the load of 20 tonnes of aluminium sulphate, used to remove solid particles from raw water, into the tank, which actually held treated water prior to distribution to the consumers in Camelford. This immediately contaminated the water supply to 20,000 local people and up to 10,000 tourists.[15][16] The maximum recorded aluminium concentration was 620 milligrams per litre compared with the maximum concentration admissible at the time by the European Community of 0.2 milligrams per litre.[17]
Response
For several days the water authority insisted the water was safe, and should be mixed with orange juice to disguise the taste of the as yet unknown contaminant. One customer who telephoned the authority the day after the contamination was told "there had been some acidity, but the water was perfectly safe to drink," and was no more harmful than lemon juice.[18] On 14 July 1988 the authority sent a circular letter to all customers "asserting that the water from the treatment works was of the right alkalinity and was safe to use and drink."[19] Within two days, the authority suspected the source of the contamination was the erroneous delivery, which was confirmed on 12 July when the driver was asked to return to the treatment works. However, it was not until ten days later on 22 July that the authority's chairman Keith Court authorised a public notice, containing the first mention of the aluminium sulphate, to be published in the sports section of a local newspaper, the Western Morning News.[20] Stephens stated that after the site meeting where he confirmed he had delivered the chemical to the wrong tank he was told by the authority "not to mention it to anyone else".[21] The SWWA district manager, John Lewis, said they had realised within 48 hours that aluminium sulphate was the likely cause of the contamination, but Lewis said he had been instructed by Leslie Nicks, the head of operations, not to tell the public.[22][23]
Douglas Cross, a consultant biologist based in Camelford, tested the water and found that it contained "not only aluminium sulphate but other noxious substances, too. As the acidic liquid travelled from the plant into people's homes, it corroded the copper pipes and their soldered joints, made of zinc and lead."[1] Official advice to boil the water before drinking was, according to Cross, "dangerous advice because it concentrates the contaminants. They kept flushing the pipes out for months after the incident. This will have stirred up debris in the bends and only have lengthened the amount of time the water was coming through the taps with all sorts of metals in it."
Sixty-thousand (60,000) salmon and trout were killed in the Camel and Allen rivers during the flushing out process.[24][25] The contamination was compounded by the failure of the authority to carry out the required six-monthly cleaning of the tank, which had not been cleaned for three years, leading to a build up of sludge.[26]
A month after the contamination, Michael Waring at the Department of Health (DH) wrote to every doctor in Cornwall saying that, "although he had no detailed information on what was exactly in the water or how much people might have drunk, he could assure them that no lasting ill effects would result."[27] G.K. Matthews, a senior toxicologist at the DH, suggested a team of medical experts should be sent to the area immediately, but a month later said he had been "overruled".[27] The National Union of Public Employees said that the procedure by which the driver had access to the site was common through the region and that they believed this was connected with reduced staffing levels and privatisation plans. They added that they were concerned about the three-week delay in reporting what had happened, and that SWWA district manager John Lewis had been "instructed at a very high level to say nothing". Lewis (not a member of the union) had been dismissed; the union said, "To single him out is unfair."[28]
Reports and inquiries
In August 1988 a highly critical report by Dr John Lawrence, a senior ICI scientist and non-executive member of the water authority, blamed lax procedures. He also criticised communication failures which kept information from the public.[28]
Lowermoor Incident Health Advisory Group report
The Lowermoor Incident Health Advisory Group (LIHAG) was set up in January 1989 to provide expert advice to the Cornwall and Isles of Scilly District Health Authority on the health implications for the population of the Camelford area.[29] In 1989 the LIHAG reported that there was no convincing evidence of a harmful build-up of aluminium and that there was no increase in ill health from poisoned water. A further enquiry by the same group in 1991 acknowledged the affair had caused "real suffering" in the community.[30][31] However, Dame Barbara Clayton concluded that this was because of sensational reporting of the incident. She stated that "In our judgment it is likely that these symptoms would have occurred in the normal course of events," and the symptoms were wrongly attributed to the contamination because of "inaccurate and exaggerated" claims of health damage by scientists and the news media.[32] When the Clayton report was released in July 1989, it caused "outrage in Camelford and wide disbelief in the scientific community."[33] One section was later amended to read "alarming statements by pseudo-scientists" rather than "...by some scientists".[33]
COT Lowermoor Subgroup report
In June 2000 Environment minister Michael Meacher announced that there would not be an independent public inquiry, and declared "All the facts are fully known and there is no reason to believe that a public inquiry could add to that."[34] In November 2000 the Environmental Law Centre prepared a petition to the European Parliament calling for a Brussels-based inquiry.[35] On 14 August 2001 the government announced that an investigation – although not a full public inquiry – into the incident would take place.[36] The investigation was to be undertaken by the newly formed Lowermoor Subgroup (LSG) consisting of scientific and health experts and local resident representatives, chaired by Frank Woods, a professor of medicine at the University of Sheffield.[36] Woods was also the head of the government's Committee on Toxicity of Chemicals in Food, Consumer Products and the Environment (COT), of which the Lowermoor team was a subgroup.[37] Its remit was to advise on whether the incident had caused, or was expected to cause, long-term harm to human health and examine whether the existing programme of monitoring and research into the human health effects was sufficient.[38]
2005 draft report
A draft report, published on 26 January 2005, was inconclusive, saying that the long-term health effects on the population were still unknown and that there was insufficient scientific information available to determine whether the health problems being experienced were caused by the contamination.[39] Woods called for further studies and said: "We will be putting the strongest possible case to the minister. I believe carrying out that work is important, it is not something which should be dropped and pushed aside."[39]
The following year, Meacher made several criticisms of the group:
the requirement to examine the DoH's handling of the incident was removed from the terms of reference
no independent expert on aluminium toxicology was included in the working group
an attempt was made to include Waring as medical adviser to the group, even though he was the author of the original letter stating that no lasting ill effects would result
no objective testing of the exposed population was carried out
too much reliance was placed on the water sample analysis from the South-West Water Authority, the compromised party
the amount of sludge reported to have been in the contact tank at the time was ignored
experts were drawn on who had potentially vested interests in the aluminium industry
the DoH pre-released a highly misleading statement of the findings two days before the draft report was due to be made public
the executive summary, prepared without the group's approval, and which effectively concluded that the illnesses reported bore no connection with the water poisoning, was "misleading and biased".[27]
Two members of the LSG committee claimed in December 2007 that the DoH had known from the start that some people were at especially high risk from aluminium poisoning but deliberately suppressed this evidence to protect the government's plans for water privatisation.[40][41]
2013 final report
The final report was published in April 2013, and concluded that it was unlikely that the exposure to chemicals could have caused long-term health problems. Key findings of the report include:
there is no evidence that the combination of metals which occurred as a result of the incident could have caused delayed health effects
there was an increase in childhood infections in the area, but this increase occurred before the pollution incident
a study of cancer incidence and mortality showed that there was no increase in cancer incidence in the area after the pollution incident
a dermatologist investigated skin and nail problems reported by individuals affected by the incident, and reported that the problems are similar to those experienced by the general population
there is no evidence that the contaminants can cause joint or muscle pain and/or swelling, and these complaints are common in the general population
a Camelford resident who died of severe cerebral amyloid angiopathy was found to have higher than normal aluminium concentrations in the brain during an autopsy. However samples from the brain of a patient with similar neuropathology but unknown aluminium exposure found similar higher than usual concentrations. Research commissioned by the coroner compared 60 postmortem brains and found no correlation between aluminium or iron concentrations and the level of congophilic angiopathy or senile plaques[11][12]
Health effects
Short-term
A diverse array of short term health effects was reported by members of the public who either drank the contaminated water or came into contact with it while bathing.[16][28][42] These included:
urinary complaints,
blistering and peeling of skin,
hair turning blue or green,
diarrhoea and vomiting, and
joint pains.
Long-term
A 1999 report in the British Medical Journal concluded that some victims had suffered "considerable damage" to their brain function.[43] This contradicted the 1991 LIHAG report telling residents that their symptoms were due to anxiety. The study was led by a consultant nephrologist at John Radcliffe Hospital, Oxford, and was the first large-scale clinical study of the affected residents. The report stated that their symptoms were similar to those of Alzheimer's disease, which has also been linked with large quantities of aluminium accumulating in the brain.[32] Rejecting the findings of the LIG, the report called for further research to determine the longer term prognosis for the affected individuals and led to fresh calls for a public inquiry into the pollution incident.[44] Although the study was carried out in 1991, its publication was delayed by the ongoing litigation between SWWA and the victims.[45]
Victims have reported:[31][35][42][46]
fatigue,
fibromyalgia,
premature ageing,
loss of short-term memory, and
multiple chemical sensitivity.
Seven months after the contamination, one victim underwent a bone biopsy which "found a ring of aluminium like the rings you see in trees" that could not have resulted from normal aluminium absorption.[18][27]
Later deaths of victims
The husband of Carol Cross, who died of a rare form of dementia in 2004, said in 2006 that he believed that his wife and twenty other people had died as a result of the disaster, and that more cases were emerging.[16]
Victim Sarah Sillifant, who was in her twenties when she was exposed, hanged herself in 2005 after suffering dementia and other symptoms similar to those experienced by Carol Cross.[16] In June 2007, Irene Neal, who lived in Rock, near Camelford at the time of the incident, died aged 91. A post-mortem found an "unacceptable amount of aluminium in the brain".
Carol Cross
In 2006 a post-mortem inquest into the death of Carol Cross at age 58, who was exposed to the contaminated drinking water aged 44, showed that her brain contained 23 micrograms of aluminium per gram of brain, compared to the normal brain levels of 0–2 micrograms per gram. Her death was caused by a form of early-onset beta amyloid angiopathy, a cerebro-vascular disease usually associated with Alzheimer's, which could be connected to the abnormally high level of aluminium in her brain.[47][48] Michael Rose, the West Somerset Coroner, said of the findings: "Further research will be needed before the significance of the elevated brain aluminium concentration in this case can be clarified. A scientific report on the case has been submitted for publication."[48] Daniel Perl, of New York's Mount Sinai School of Medicine said: "If additional similar cases were to appear among the 20,000 exposed individuals then the implications of this incident would become extremely important. Only time will tell. At the very least, increased efforts towards surveillance of individuals exposed in Camelford is certainly warranted."[49]
Rose had adjourned the inquests for Cross and Neal pending further studies, but in 2008 said the Government had refused "to either finance or assist" research to test the hypothesis of a link between exposure to aluminium and congophilic amyloid angiopathy. He said this research was necessary to determine the consequences of the deceased having such a high level of aluminium. He later sought support from Somerset County Council so that the work could go ahead and once more adjourned the inquest into the death of Carol Cross, although Neal's inquest went ahead.[50]
In July 2009 Rose announced that the inquest into Cross's death would resume in November 2010.[51] Rose said that "ongoing medical research would not be completed until late summer" 2010. He explained "This research is necessary to prove whether or not the high level of aluminium in Mrs Cross's brain causing her death through beta amyloid angiopathy (a form of cerebrovascular disease) on February 19, 2004, could be attributed to the aluminium sulphate placed in the public water supply at Lowermoor treatment works on July 6, 1988. This is the last adjournment I am able to agree and the inquest will commence on Monday November 1, 2010 at Taunton."[51]
When the inquest was reconvened Dr. Chris Exley, a reader in bioinorganic chemistry at Keele University, said "The brain aluminium concentration was so high that it is highly likely that it contributed to her brain pathology, probably being responsible for the aggressive form and very early onset of the disease." Neuropathologist Prof. Margaret Esiri, from the John Radcliffe Hospital, said "I have never seen a case such as this at this age. I have seen one case in a woman who died aged 81 but the literature shows only a handful of cases worldwide."[52] As a result of their evidence the inquest was again adjourned to allow South West Water Authority time to seek its own expert evidence.[53]
Carol Cross's inquest was finally completed in March 2012. The coroner returned a narrative verdict recording the circumstances without attributing the cause, in which he said the water supply company, South West Water Authority had been "gambling with as many as 20,000 lives" when they failed to inform the public about the poisoning for 16 days, a delay he called unacceptable. An expert said at the inquest that the levels of aluminium in her brain were "beyond belief".[5]
Rose stated: "I found there was a deliberate policy to not advise the public of the true nature until some 16 days after the occurrence of the incident," and that "[T]he failure of the authority to visit every house after the incident to advise them to thoroughly flush their systems [w]as a serious dereliction of duty. I can say that the incident may either have contributed to or possibly caused Mrs Cross's death, but I do not have sufficient evidence to say so conclusively."[54]
Legal actions against South West Water Authority
In 1991 the South West Water Authority was fined £10,000 and ordered to pay £25,000 costs at Exeter Crown Court for supplying water likely to endanger public health. The authority paid at least £123,000 to settle almost 500 initial compensation claims and in 1997 a further 148 victims accepted out-of-court damages totalling almost £400,000, approved by a High Court judge sitting in Truro. The settlements ranged from £680 to £10,000.[25][30][55] Some later claimed they were "railroaded" into accepting the out-of-court settlements after being told that their legal aid funding would be withdrawn if they continued with the lawsuit.[3] The judge, Mr Justice Wright, said: "If the case had been contested, there would have been awesomely complex argument over how much [water] they consumed" and that they were "extraordinarily well advised to accept the offer."[56] Cross later said: "The official medical claim from the health authority was that there was no known pathway for aluminium to be absorbed into the body. I would argue that this was a misrepresentation of scientific facts, however it was accepted by the judge [and he] instructed the jury that medical damages could not be awarded. The victims therefore received negligible compensation. This alone is adequate reason for a judicial review, since it resulted in a miscarriage of justice for the victims."[1]
Allegations of a cover-up
On 13 December 2007 Michael Rose announced that, in light of "a possible attempt to initially suppress the seriousness of the incident, I am asking the chief constable of Devon and Cornwall to hand me evidence gathered at the time of the original investigation," and for the chief constable to appoint a senior detective "to look into the allegations of a possible cover-up."[57]
At the time of the incident the water industry was about to be privatised by the Conservative government of the day; a letter written from a water official to Michael Howard, then Minister of State for Water and Planning, emerged which stated that a police investigation into the poisoning incident was viewed as "very distracting" and that any subsequent prosecution of South West Water would also "be totally unhelpful to privatisation... and render the whole of the water industry unattractive to the City".[58] The Western Morning News, using a Freedom of Information Act request, uncovered a briefing note to the then Environment Minister, Nicholas Ridley, warning: "Those of the South West board with a commercial background are deeply concerned by the investigation."[59]
There was speculation in the news media that commercial concerns were given priority over public health.
The former North Cornwall Liberal Democrat Member of Parliament (MP) Paul Tyler also uncovered documents contradicting the water authority's claim that it had advised consumers not to drink the water, and that this advice had been given in a radio broadcast at 6am on 7 July 1988 and subsequently. The documents, relating to the prosecution of South West Water, alleged that this "was not the advice given to the public on the 6th, 7th, 8th, or indeed on the 12th," and added that the prosecution would say that the authority "misled Mr Healey (the head of the drinking water division at the Department of Environment)... There is evidence that a deliberate decision was made to conceal the truth from the public."[59] Tyler said "I can't think of any comparable accident or mistake anywhere in Britain, particularly one involving what was a government agency, where there was no attempt to investigate what went wrong and why."[3]
In 2001 Environment Minister Michael Meacher claimed that the Government feared what an unrestricted inquiry might find, and that "There was then a great deal of shenanigans about the terms of reference and fighting at all levels in order to limit the ambit of the committee to get the result they wanted. This inquiry was always potentially hugely damaging and hugely worrying to the establishment in terms of the way they handled the incident and clearly there are elements that want to shut it down." No named individuals were ever prosecuted.
The national water industry was sold, under the Conservative government, for £3.59 billion, with the sale of South West Water Authority raising around £300 million.[59]
See also
Armley asbestos disaster
Love Canal
Sydney Tar Ponds
Cancer Alley
Abbeystead disaster
| https://en.wikipedia.org/wiki/Camelford%20water%20pollution%20incident |
{
"plaintext_start_byte": [
42,
1137,
2164,
2477,
2937,
4341,
6631,
9235,
10864,
11277,
12312,
13036,
13297,
14777,
17341,
22349,
22555,
22777,
23217,
23548,
23657,
24071,
24174
],
"plaintext_end_byte": [
1136,
2162,
2463,
2936,
4323,
6630,
9234,
10863,
11263,
12311,
12986,
13296,
14759,
17328,
22326,
22554,
22776,
23177,
23547,
23626,
24050,
24161,
24249
]
} | كم طول السواحل الأردنية؟ | جغرافيا الأردن | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
2
],
"minimal_answers_start_byte": [
2374
],
"minimal_answers_end_byte": [
2391
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Coordinates:
جغرافيا المملكة الأردنية الهاشميةالقارةآسياالمنطقةجنوب غرب آسياإحداثيات جغرافيةالمساحة
المجموع: 89.213 كيلو متر² (34.445 ميل²)
مساحة اليابسة: 88.884 كم² (34.318 ميل²)
مساحة المناطق المائية: 329 كم (127 ميل²) الترتيب(112)الشريط الساحلي26 كم على خليج العقبةالمياه الاقليميةثلاثة أميال بحريةالحدود الأرضية1619 كمالدول المجاورة وطول الحدود معهاسوريا 375 كم
العراق 181 كم
السعودية 782 كم
الضفة الغربية 97 كم
إسرائيل 238 كمأعلى نقطةجبل أم الدامي 1854 مترأدنى نقطةالبحر الميت -408 متر تحت مستوى سطح البحر.فرق التوقيت(التوقيت الشتوي) +2 بتوقيت غرينتش، (التوقيت الصيفي) +3 بتوقيت غرينتش. أو سبع ساعات عن توقيت الولايات المتحدة الشرقي.
يقع الأردن في جنوب غرب آسيا، شمال غرب المملكة العربية السعودية وجنوب سوريا، بين خطي طول 59ْ إلى 31ْ شرقاً وبين دائرتي عرض 52. 34ْ إلى 15. 39ْ شمالاً. كانت الأراضي الأردنية تغطي نحو 91،880 كيلومترا مربعا حتى عام 1988، (حاليا تقدر بـ 89.287 كم2) بعد فك الارتباط أجبر الملك حسين على التخلي عن المطالبة بالضفة الغربية التي كانت تعتبر جزءاً من المملكة الأردنية الهاشمية رغم اعتراف رسمي من طرف كلا من المملكة المتحدة وباكستان. في ذلك الوقت كانت الضفة الغربية—التي تضم حوالي 5880 كيلومترا مربعا—تحت الاحتلال الإسرائيلي منذ حرب يونيو 1967 التي حدثت بين كلا من فلسطين ودول مصر والأردن وسوريا.
لا يمتلك الأردن سواحل أو منفذ بحري سوى في مدينة العقبة الواقعة في أقصى جنوب المملكة، حيث يمتد ساحل العقبة على مسافة 26 كيلومتر على خليج العقبة المتصل في البحر الأحمر.
الحدود
باستثناء أجزاء صغيرة من الحدود مع فلسطين وسوريا، لا تتسم الحدود الدولية الأردنية بخواص طبيعية واضحة المعالم ومحددة التضاريس. تم ترسيم حدود البلاد من خلال اتفاقات دولية مختلفة، وباستثناء الحدود مع إسرائيل، لم يكن هناك أي نزاعات حدودية حتى أوائل عام 1989.
حدود الأردن مع سوريا، والعراق، والمملكة العربية السعودية لا تملك أهمية خاصة مثل تلك الحدود التي مع فلسطين؛ لأن تلك الحدود لم تعرقل تحركات العشائر البدوية، حتى أن الحدود لم تفصل بعض الجماعات عن مناطق الرعي التقليدية والمحددة من خلال سلسلة من الاتفاقيات بين المملكة المتحدة بصفتها حكومة الانتداب على شرقي الأردن والحكومة التي باتت تعرف فيما بعد بالمملكة العربية السعودية) وكان يعرف هذا الاتفاق باتفاقية حداء المبرم في عام 1925. في عام 1965 أبرم الأردن والمملكة العربية السعودية اتفاق ثنائي ينص على إعادة ترسيم الحدود. وادى الاتفاق إلى عملية تبادل للأراضي سمحت للأردن بمد شريطه الساحلي على خليج العقبة بنحو 18 كم ليصل إلى 26 كم، ومكن الأردن من توسيع ميناءه الواقع في مدينة العقبة، بالإضافة إلى حماية حقوق الرعي والري للقبائل البدوية بين الأراضي المشتركة بين البلدين.
التضاريس
يتكوَّن معظم سطح الأردن، بشَكلٍ عام، من نجدٍ صحراوي، في الشرق، وأراضٍ مرتفعة، في الغرب، ويفصل أخدود وادي الأردن بين الضفتين الشرقية والغربية لنهر الأردن، ويتألف سطح الأردن، من أربعة أقاليم، هي: المُنخفَض الأُخدوديّ لوادي الأُردن (أخدود وادي الأردن)، والمُرتفَعات الجبليّة، وهضبة البادية الصحراويّة[1][2]، ومنخفض الأزرق – وادي سرحان[3].
منطقة وادي الأردن يمتَدّ هذا المنخفض بأراضي الأردن مسافة 370 كم، من مصَب نهر اليرموك، حتى خليج العقبة. ويَجري نهر الأردن، في جزء من هذا المنخفض، ليصُب في البحر الميت. ويتفاوَت اتّساع المنخفض، على جانِبَي نهر الأردن، ما بين خمسة كيلومترات، شماليّ العقبة، و35 كم، على دائرة عَرض أريحا. ويتراوَح في مستوى قاعه، ما بين منسوب 800 متراً، دون مستوى سطح البحر أعمق نقطة، لقاع البحر الميت، إلى منسوب 240 متراً، فوق مستوى سطح البحر، في اواسط وادي عربة. ويُعرَف السَّهل الفيضي لنهر الأردن، بأم الزَّوْر، ويفصِل ما بين مستوى الزَّور، والغور حافة من الأراضي الرديئة، تُعرَف باسم الكَتار، أمّا أراضي الغور، فإنها تمتد، من الشمال، إلى الجنوب، مَحصورةٌ بين الحوافّ الجبَليّة لوادي الأردن، والكَتار. وتجري مجموعةٌ من الأوديَة الجانبيّة، التي ترفُد نهر الأردن، عبْر أراضي وادي الأردن، قادِمةً من المُرتفعات الجبَليّة، ومكوِّنةً دالاتٍ مروَحيّة، تتفاوَت، في مساحتها، وأهمّيّتها. ويشتمل وادي الأردن، على أكبر المساحات المَرويّة، في الأردن.
المرتفعات الجبلية تتكوَّن من هضبةٍ، تتخلّلها السلاسِل، والقِمَم، والقِباب الجبلية وتمتد، ما بين نهر اليرموك، شمالاً، والحدود الأردنية السعودية، جنوباً. يبلغ متوسِّط ارتفاع هذه الهضبة الجبلية، حوالي 1200 مترٍ، فوق مستوى سطح البحر، وتنحدِر تدريجيا. نَحو الشرق، لتتَّصِل بالهضبة الصحراوية في حين أن الجزء الأعظم منها، ينحدِر بشدة، نحو وادي الأردن، في الغرب.
تشتمِل المُرتفعات الجبليّة، على وحداتٍ إقليميّة، من الشمال، إلى الجنوب، هي: مناطِق عجلون، البلقاء، الكرك، ومعان، على التوالي. أما منطقة عجلون، فيبلغ متوسِّط ارتفاعها 850 متراً، فوق مستوى سطح البحر، ويتَّخِذ جزؤها الجنوبي، شَكل القِباب، مُتمثِّلاً في قبّة عجلون، والبلقاء، والكرك، ومعان، على التوالي، بينما يُشكِّل جزؤها الشمالي، سهول إربد. وأمّا منطقة البلقاء فيبلغ متوسِّط ارتفاعها 925 متراً، فوق مستوى سطح البحر، وتبرُز قبّة السلط في الجزء الشمالي منها، بينما تمتَد سهول مباديا المتموِّجة، في الجزء الجنوبي منها.
أمّا منطقة الكرك، فيبلغ متوسِّط ارتفاعها، عن مستوى سطح البحر، 1150 متراً، وهي في جزئها الجنوبيّ، أكثر ارتفاعاً، منها في الجزء الشمالي، وينبسِط سطح الأرض، في الأجزاء الوُسطى منها، حيث تقوم القُرى والمدُن، المحيطة بالأراضي الزراعيّة. وأما منطقة معان، فيبلغ متوسِّط ارتفاعها عن مستوى سطح البحر، حوالي 1300 مترٍ، وتنحدِر مرتفعات الشراة فيها، بشِدّةٍ، نحو وادي عربة، في الغرب. وأشهر قمم جبال الشراة، جبل مبرك، 1734 متراً، وجبل هارون، 1336 متراً، في الجنوب الغربي، من البتراء. وتوجد قمّة جبل رام، 1754 متراً، في هضبة حسمي، بمنطقة معان، وهي أعلى قمّة جبليّة في الأردن.
منطقة البادية وتعرف أيضا بـ الصحراء الشرقية، أو هضبة البادية الصحراوية، وهي الامتداد الشرقي، لهضبة المرتفعات الجبلية، في الأردن، والامتداد الشمالي للهضبة، في المملكة العربية السعودية، وهي الجزء الجنوبي، من هضبة بادية الشام. والهضبة بصفةٍ عامّة، ذات أرضٍ متموِّجة، ومع ذلك، فإنها لا تَخلو، من وجود بعض السّلاسِل الجبَليّة، في الأجزاء الجنوبيّة الغربيّة، وبخاصّة جنوبي معان، كما توجد بها بعض المنخفَضات، والقيعان، والأودية الطّوليّة، مثل منخفَض الجَفر، وقاع الدّيسي، ووادي السرحان. وتحتَلّ صحراء الحماد، مساحاتٍ واسِعة من الهضبة، بينما تنتشِر الأراضي الرّمليّة، في هضبة حسمي، بالجنوب، والحرّات البازلتية، في الجهة الشماليّة الشرقيّة، من البادية.. وهذه المنطقة تشكل 75 بالمائة من المساحة الإجمالية للأردن.[4]
يوجد في الأردن أخفض نقطة في العالم الموجودة في البحر الميت التي تنخفض إلى 408 متر تحت مستوى سطح البحر، اما أعلى نقطة في الأردن هي تلك الموجودة في جبل أم الدامي البالغة 1854 متر (5689 قدم).
منخفض الأزرق – وادي سرحان يقع في شرق الأردن وتقسمه الحدود الأردنية-السعودية. يرتفع في الشمال 700 متراً عن سطح البحر بينما في الجنوب ينخفض إلى 500م عن سطح البحر. تتجمع في أوديته مياه الأمطار مما يجعله مكاناً مناسباً للرعي[3].
المناخ
مناخ الأردن هو مزيج من مناخي حوض البحر الأبيض المتوسط والصحراء القاحلة، حيث يسود مناخ حوض المتوسط في المناطق الشمالية والغربية من البلاد، بينما يسود المناخ الصحراوي في غالبية البلاد. وبشكل عام، فإن الطقس حار وجاف في الصيف ولطيف ورطب في الشتاء.
هناك تنوع مناخي في الأردن حيث يسود المناخ المداري الجاف في وادي الأردن، مناخ الاستبس الدافئ الذي يسود في المرتفعات الجبلية، مناخ البحر المتوسط الذي يسود في المرتفعات الجبلية، مناخ البحر المتوسط البارد الذي يسود في قمم الجبال العالية مثل عجلون، مناخ الاستبس على السفوح الشرقية، المناخ الصحراوي الجاف في البادية الشرقية.[5]
تتراوح معدلات درجات الحرارة السنوية بين 12-15 درجة مئوية (54-77 فهرنهايت)، وتصل في حدها الأعلى صيفا إلى الأربعينات (105-115 ف) في المناطق الصحراوية.
ويتراوح معدل سقوط الأمطار من 50 ملم (1.97 إنش) سنويا في الصحراء إلى حوالي 580 ملم (22.8 إنش). في المرتفعات الشمالية تتساقط الثلوج على فترات قليلة على معظم المرتفعات الجبلية في شمال ووسط وجنوب المملكة وتكون غزيرة جدا ومتراكمة في بعض الأحيان.
الأنهار والمسطحات المائية
نهر الأردن، نهر يفصل بين الأردن وفلسطين، يبلغ طوله 360 كم، ويصب النهر في البحر الميت. يعتقد المسيحيين ان يسوع تعمد فيه على يد يوحنا المعمدان.[6]
[7]
نهر الزرقاء، من روافد نهر الأردن ينبع من العاصمة الأردنية عمان متجها إلى الشرق عبر عين غزال، الرصيفة، فمدينة الزرقاء، حيث ينحني 180 درجة ويبدأ جريانه باتجاه وادي الأردن قاطعا جرش وعجلون والبلقاء صابا في بحيرة جرش.[8]
نهر العرام ينبع من سفوح جبل الشيخ في سوريا من قرية عين نورية ويتجه إلى محافظة درعا ليمر بعدد من قرى المحافظة، ويتجه بعد ذلك إلى نهر اليرموك ليصب في البحر الميت في الأردن.
واحة الأزرق، تقع على طريق الهجرة الرئيسية للطيور القادمة من روسيا والمتجهة نحو أفريقيا، فإن أسراب الطيور المهاجرة تتوقف للاستراحة في واحة الأزرق. تستطيع أن ترى أنواع من الطيور من أمثال الصقر العسل، وأبو شودة، وأنواع أخرى من الطيور المهاجرة كطائر النقاش المشاكس، والنكات، والطيطوي الصغيرة، والزقزاق الأسكندراني، والزقزاق المطوق الصغير. كما تكتسي الواحة وتلالها بحلل خضراء يزينها ما يقارب الفي نوع من الزهور البرية.[9]
جيولوجيا
يتمتع الأردن بموقع وطبيعة جيولوجية تتكشف فيه سجلات صخرية لمعظم العصور الجيولوجية بدءاً من صخور الركيزة من دهر الحياة الخافية (800-550 مليون سنة) وتمثل الامتداد الشمالي لصخور الدرع العربي النوبي الذي يصل عمره إلى مليار ومائة مليون سنة تعلوها صخور دهر الحياة الظاهرة (حقبة الحياة القديمة، الوسطى والحديثة) والتي يمتد عمرها من 550 مليون سنة وحتى وقتنا الحاضر. يعتبر وادي رم والبحر الميت والمياه العلاجية المجاورة والأودية السحيقة المطلة على حفرة الانهدام ونهر اليرموك وقاع الضاحكية والأنفاق البركانية والصحراء الجنوبية الشرقية ومنطقة رأس النقب-بطن الغول وما تحويه من صدوع، وطيات، وأحافير نادرة وأهمها الأشجار المتحجرة، والأودية السحيقة المطلة على حفرة الانهدام، وكذلك الأشكال الجيوموفولوجية، والمياه المعدنية الحارة، وصولا إلى الرسوبيات الجليدية مثالا على التنوع الجيولوجي الفريد للأردن.[10] كذلك اكتشف في الأردن أكبر نيزك في الشرق الأوسط في جبل وقف الصوان بالمنطقة الشرقية، وبقايا عظمة الرقبة لأكبر ديناصور طائر في العالم.[11][12][12][13]
[14][15][16]
تعتبر ثروات الأردن المعدنية انعكاس لجيولوجيته الفريدة، فيوجد فيه معادن وصخور صناعية اقتصادية مثل النحاس والمنغنيز، والفوسفات، ورمل الزجاج، والفيلدسبار والتريبولي، والبورسالينيت، والمعادن الطينية، والدياتوميت والرخام، والترافرتين، وأحجار البناء والزينة، والطباشير، والملح، والبوتاس الصخري، وأملاح البحر الميّت، والصخر الزيتي ورمال القار والمعادن المشعة والثمينة والتف البركاني والبازلت والزيولايت، بالإضافة إلى اليورانيوم والثوريوم، والراديوم.
[15][16]
طبيعة
تحتضن محمية ضانا أكثر من 800 نوع نباتي، ثلاثة من هذه الأنواع لا يمكن ايجادها في أي مكان في العالم سوى في محمية ضانا.[17] سجل العلماء في الأردن نحو 78 نوعًا من الثدييات، تنتمي لسبع رتب و26 عائلة، وتضم هذه القائمة:
المفترسات (آكلات اللحوم) مثل الضبع المخطط، الذئب، ابن آوى بالإضافة إلى أنواع مختلفة من الثعالب والقطط البرية.العاشبات (اكلات النباتات) مثل البدن (الوعل)، المها العربي وأنواع مختلفة من الغزلان. القوارض والخفافيش وتعتبر الأكثر عددًا بين الثدييات حيث تشكل ثلثي مجموعها.[18] يوجد في الأردن خمسة أنواع من البرمائيات و97 نوعاً من الزواحف. أكثر من نصف هذه الأنواع من السحالي ويقارب عددها 55 نوع بينما تم تسجيل 37 نوع من الافاعي سبع منها سامة. ورغم أن الزواحف في الأردن غير مهددة بشكل كبير، إلا أن هنالك 14 نوع منها تعتبر نادرة، ويعتقد أن هنالك 2 إلى 4 أنواع تعرضت فعلا للانقراض.[19]
يعتبر الأردن من أهم ممرات الطيور المهاجرة، بسبب وقوعها على حافة حفرة الانهدام وتقطع الطيور آلاف الكيلو مترات سنويا في مواسم الهجرةً مرورا بالأردن ويبلغ عدد أنواع الطيور المسجلة في الأردن نحو 425 نوعاً، تتوزع على 58 عائلة (حسب دراسة ايان أندروز 1995)، أكثر من 300 منها مهاجرة، 95 محلية. وتزور 111 نوعا من هذه الطيور المسجلة المملكة في الشتاء، في حين تزور 63 نوعا منها المملكة في الصيف، وتمر 202 نوعا على المملكة أثناء هجرتها، و83 نوعا ضالة الطريق. يتكاثر في الأردن عدد من الطيور المهددة عالمياً مثل العويسق والنعار السوري، كما أن هنالك العديد من الأنواع المهددة التي تم تسجيلها في الأردن خلال مواسم الهجرة وفصل الشتاء، وتشمل ملك العقبان، والعقاب الأرقط الصغير، وطائر القطقاط الاجتماعي. علما أن القائمة تضم 15 نوعا مهددا و21 على لائحة (CITES)الاتفاقية الدولية للإتجار بالأنواع المهددة.[20]
الأردن غني بتنوعه النباتي إذ سجل العلماء مايزيد عن 2500 من النباتات الوعائية والتي تنتمي بدورها إلى 152 عائلة وتشكل ما مجمله 1% من النباتات المسجلة في العالم. يوجد في الأردن ما يقارب 100 نوع من النباتات المستوطنة أي ما نسبته 2.5% من مجموع النباتات المسجلة عالميا وهي نسبة عالية مقارنة بالمعايير العالمية. كما يوجد 349نوعا نادرا، منها 76نوعا مهددا بالانقراض و 18 نوعا مدرجة على القوائم العالمية للأنواع المهددة بالانقراض حسب (IUCN) الاتحاد الدولي لصون الطبيعة.
[21]
خليج العقبة هو موطن لبعض من خيرة الحياة البحرية في الشرق الأوسط، بينما الشعب المرجانية لا مثيل لها في العالم. يحتوي خليج العقبة مجموعة كبيرة من الحياة البحرية، مثلا قنديل البحر، خيل البحر، خيار البحر، سرطان البحر، الروبيان، قنافذ البحر، والعديد من أنواع الأسماك والديدان التي تحفر بيوتها في قاع البحر الرملي. ويمكن الاطلاع على مجموعة متنوعة من الأعشاب البحرية في المياه الضحلة. ولعل من أهم عناصر الجذب للغواصين في خليج العقبة هو الشعاب المرجانية الملونة، خصوصا تلك الموجودة في الجزء الجنوبي من الساحل الأردني، وهناك نحو 100 نوعا من المرجان الحجري. يوجد بصورة رئيسية في المياه الضحلة الطحالب التي تتطلب الضوء لعملية البناء الضوئي، هناك عدة مئات من أنواع الأسماك جعلت بيوتها بين الشعاب، وتعيش من خلال التغذي على بعض الطحالب التي تنمو على الشعاب المرجانية.
مساحة وحدود
المساحة;
المجموع: 89.213 كيلو متر² (34.445 ميل²)
مساحة اليابسة: 88.884 كم² (34.318 ميل²)
مساحة المناطق المائية: 329 كم (127 ميل²)
الحدود البرية:
المجموع: 1619 كم
حدود مع : العراق 181 كم، فلسطين المحتلة 238 كم، السعودية 728 كم، سوريا 375 كم، 97 كم مع الضفة الغربية.
الساحل: 26 كم
المياه الإقليمية: ثلاثة أميال بحرية.
التضاريس:
أخفض نقطة: البحر الميت -408 متر تحت مستوى سطح البحر.
أعلى نقطة: جبل أم الدامي - 1854 متر فوق مستوى سطح البحر.
ثاني أعلى نقطة: جبل رام - 1،754 متر فوق مستوى سطح البحر.
الموارد وتوزيع الارض
الموارد الطبيعية: الفوسفات والبوتاس والصخر الزيتي
توزيع الأرض:
الأراضي الصالحة للزراعة: 4 ٪
المحاصيل الدائمة: 1 ٪
المراعي الدائمة: 9 ٪
الغابات والأحراج: 1 ٪
أخرى: 85 ٪ (تقديرات 1993)
الأراضي المروية: 630 كلم² (طبقا لتقديرات 1993)
المخاوف البيئية
الأخطار الطبيعية: زلازل ثانوية بين الحين والاخر في المناطق القريبة من اخدود وادي الأردن.
الأخطار البيئة—القضايا الراهنة: محدودية الموارد الطبيعية للمياه العذبة؛ إزالة الغابات؛ الرعي الجائر وتعرية التربة والتصحر.
انظر أيضًا
حدود الأردن
نظام تربيع ميركاتور الأردني المستعرض
مراجع
تصنيف:جغرافيا الأردن
تصنيف:الهلال الخصيب
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%AC%D8%BA%D8%B1%D8%A7%D9%81%D9%8A%D8%A7%20%D8%A7%D9%84%D8%A3%D8%B1%D8%AF%D9%86 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
490,
1363,
1613,
2040,
2373
],
"plaintext_end_byte": [
489,
1362,
1612,
2016,
2372,
2561
]
} | วิจารณญาณ หมายถึงอะไร ? | วิจารณญาณ | thai | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
109
],
"minimal_answers_end_byte": [
229
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
วิจารณญาณ (อ่านว่า วิจาระนะยาน) หมายถึงปัญญาที่สามารถรู้หรือให้เหตุผลที่ถูกต้อง ปัญญาสามารถในการพิจารณาจัดแจง วางแผน สืบสวน แสวงหา ไตร่ตรองเหตุผล เรียกว่า วิจารณปัญญา ก็มี
วิจารณญาณ เป็นเครื่องมือในการสังเกตคิดค้น และตัดสินวินิจฉัยในเรื่องใดเรื่องหนึ่ง เป็นเครื่องมือของโยนิโสมนสิการ มีลักษณะเฟ้นหาไตร่ตรองข้อเท็จจริงด้วยเหตุผลรอบคอบและรอบด้าน ทำให้ฉุกคิดไม่ตัดสินใจโดยรีบด่วนจนเกิดความผิดพลาด เป็นให้การสรุปผลหรือตัดสินเรื่องนั้นๆ ถูกต้องถ่องแท้ หรือผิดพลาดน้อยที่สุด
วิจารณญาณ เป็นเรื่องของปัญญา เหตุผลและข้อเท็จจริง มิใช่เป็นเรื่องของทัศนะและการคาดเดา
การศึกษาสมัยใหม่ในประเทศพัฒนาแล้วหลายประเทศได้นำกระบวนการคิดในลักษณะนี้มารวมไว้ในหลักสูตรการศึกษาขั้นพื้นฐาน เรียกว่า "การคิดเชิงวิจารณ์"
อ้างอิง
พระธรรมกิตติวงศ์ (ทองดี สุรเตโช) ป.ธ. ๙ ราชบัณฑิต พจนานุกรมเพื่อการศึกษาพุทธศาสน์ ชุด คำวัด, วัดราชโอรสาราม กรุงเทพฯ พ.ศ. 2548
หมวดหมู่:การศึกษา
หมวดหมู่:ศาสนาพุทธ
หมวดหมู่:อภิธานศัพท์ศาสนาพุทธ | https://th.wikipedia.org/wiki/%E0%B8%A7%E0%B8%B4%E0%B8%88%E0%B8%B2%E0%B8%A3%E0%B8%93%E0%B8%8D%E0%B8%B2%E0%B8%93 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1129,
2227,
2878,
3367,
3553,
3785,
4434,
5041,
5321,
7473,
7959,
8482,
8658,
8897,
9711,
10146,
12060,
12603,
13961,
14090,
14923,
15040,
15266,
16261,
26691,
27359,
27678,
28388,
29027,
29527,
30178,
30998,
31403,
31896,
32955,
33215,
35540,
35829,
36596,
38276,
38737,
39521,
40353,
40645,
41710,
42424,
43415,
44153,
45390,
46619,
48756,
50601,
50998,
51926,
52501,
52894,
53280,
54168,
55311,
56061,
56312,
56766,
57336,
60393,
60755,
62254,
62410,
62595,
62608
],
"plaintext_end_byte": [
1128,
2092,
2816,
3353,
3512,
3769,
4433,
5021,
5320,
7472,
7958,
8453,
8657,
8896,
9710,
10115,
11983,
12602,
13960,
14089,
14922,
15039,
15265,
16249,
26679,
27358,
27677,
28387,
29026,
29526,
30177,
30997,
31352,
31895,
32933,
33214,
35539,
35798,
36595,
38275,
38736,
39520,
40352,
40644,
41709,
42423,
43414,
44152,
45389,
46618,
48742,
50600,
50997,
51925,
52500,
52893,
53261,
54167,
55310,
56060,
56293,
56747,
57303,
60328,
60754,
62206,
62323,
62537,
62607,
62635
]
} | Где происходит действие первой игры Warcraft? | Вселенная Warcraft | russian | {
"passage_answer_candidate_index": [
3
],
"minimal_answers_start_byte": [
3138
],
"minimal_answers_end_byte": [
3159
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Вселенная Warcraft — вселенная, изначально придуманная для компьютерных игр из серии Warcraft (). Позже она также получила развитие в настольных играх, коллекционной карточной игре[1], книгах, комиксах, фильмах, различной маркетинговой продукции, такой как фигурки, футболки, коврики для мыши и т. п. На ежеквартальной основе выходит журнал World of Warcraft: The Magazine[2].
Как и многие другие популярные вымышленные вселенные, вселенная Warcraft обогащается за счет неофициального творчества: комиксов[3], видеороликов[4], в том числе, полнометражным фильмом Tales of the Past в трёх частях, сделанным на движке World of Warcraft студентом Мартином Фалком[5].
Вселенная выдержана в стиле фэнтези с примесью стимпанка, европейской культуры и некоторыми элементами восточной культуры. Описывает мир Азерот, включающий в себя 4 материка: Восточные королевства (родина людей), Калимдор (родину эльфов), Нордскол и Пандарию, а также миры Аргус (родину дренеев) и Дренор (родину орков)[6].
История вселенной Warcraft Universe описывает в основном противостояние между Альянсом и Ордой и их борьбу с Пылающим Легионом, Плетью, драконом Смертокрылом, Древними Богами и другими силами, угрожающими Азероту.
Игры из вселенной Warcraft
Даты релизов1994- Warcraft: Orcs & Humans1995- Warcraft II: Tides of Darkness1996- Warcraft II: Beyond the Dark Portal199719981999- Warcraft II: Battle.net Edition200020012002- Warcraft III: Reign of Chaos2003- Warcraft III: The Frozen Throne2004- World of Warcraft200520062007- World of Warcraft: The Burning Crusade2008- World of Warcraft: Wrath of the Lich King20092010- World of Warcraft: Cataclysm20112012- World of Warcraft: Mists of Pandaria20132014- World of Warcraft: Warlords of Draenor20152016- World of Warcraft: Legion20172018- World of Warcraft: Battle for Azeroth
Компьютерные игры
Warcraft: Orcs and Humans
Warcraft: Orcs and Humans — стратегия в реальном времени, выпущенная компанией Blizzard Entertainment в 1994 году для DOS, а позже для Mac OS[7].
Действие игры происходит в мире Азерот. События, воспроизведённые в игре, относятся к Первой Великой войне (или просто Великой войне) в мире Warcraft.
Warcraft II
Русскими фанатами были созданы карты в стиле Warcraft II: Tides of Darkness на движке Warcraft III.
Warcraft Adventures: Lord of the Clans
Приключенческая игра во вселенной Warcraft, отменённая как не соответствующая «высокому стандарту качества игр от Blizzard».
Warcraft III
Warcraft III: Reign of Chaos — стратегия в реальном времени, выпущенная в июле 2002 года для платформ Windows и Mac OS[8].
Первая игра в серии, использующая трёхмерную графику, хотя и с ограниченными возможностями управления камерой. Одним из основных нововведений стали «герои» — уникальные юниты, накапливающие опыт, получающие новые навыки и использующие в бою артефакты.
В июле 2003 года вышло дополнение The Frozen Throne. Это дополнение можно считать «открытой» версией игры, в ней стало доступно создание карт, как похожих на стандартные, так и в корне отличающихся от них. В Warcraft III: Reign of Chaos также возможно было изменять карты и уровень героя «без ограничений», «Дополнительно — Игровые константы»).
World of Warcraft
World of Warcraft — массовая многопользовательская онлайн RPG, выпущенная Blizzard Entertainment в ноябре 2004 года для Windows и Macintosh[9]. Для игры было выпущено семь дополнений:
Burning Crusade, вышедший в 2007 году. В игру были введены игровые расы Дренеев и Эльфов Крови со своими стартовыми зонами, добавлен мир Запределье — остатки планеты Дренор, родного мира орков, стали доступны игрокам летающие ездовые животные, увеличенный до 70-го лимит уровней и новая профессия — ювелирное дело[10].
Wrath of the Lich King, вышедший 13 ноября 2008 года. На этот раз в игру добавили первый героический класс — рыцарь смерти, новый континент Нордскол, лимит уровней был поднят до 80-го, добавлена система достижений и новая профессия — начертание, появились PvP зоны с осадными орудиями[11].
Cataclysm, вышедший 7 декабря 2010 года. В нём был изменён первоначальный облик Азерота, добавлены две новые игровые расы — воргены и гоблины, введена новая вспомогательная профессия — археология, расширены возможности летающих ездовых животных, а также поднят лимит уровней до 85.
Mists of Pandaria, вышедший 25 сентября 2012 года. В нём добавлена новая раса пандаренов, доступных для обеих фракций, добавлен новый континент Пандария, появился новый класс монах, лимит уровней поднят до 90.
Warlords of Draenor, вышедший 13 ноября 2014 года. Добавлен новый мир — Дренор из альтернативной реальности, лимит уровней поднят до 100.
Legion, вышедший 30 августа 2016 года. В игру был введен новый класс — охотник на демонов, максимальный уровень игрока был увеличен до 110. Добавлены локации Расколотых островов. Также в игру были введены артефакты — оружие, уникальное для каждой классовой специализации.
Battle for Azeroth, вышедший 14 августа 2018 года. Дополнение посвящено полномасштабной войне между Альянсом и Ордой. Повышен максимальный уровень персонажей до 120-го, добавлены новые континенты Кул-Тирас и Зандалар, а также союзные расы — разновидности уже имеющихся игровых рас.
Warcraft: Heroes of Azeroth
Warcraft: Heroes of Azeroth (WHoA; (in Turkish)) — компьютерная игра, анонсированная Blizzard Entertainment 1 апреля 2007 года[12].
Объявление и сопровождающая его страница-тизер были розыгрышем, затеянным для того, чтобы продолжить тему первоапрельских шуток.
Скриншоты и информация, предоставленные на странице-тизере WHoA, происходят от Warcraft III, игры, выпущенной несколькими годами ранее. Шутка имела цель позабавиться над многими игроками World of Warcraft, которые ничего не знают о стратегических корнях этой игры. Изображение коробок вымышленной игры соответствует четырём вариантам изображения коробок игры Warcraft III: Reign of Chaos, за исключением больших логотипов WHoA, размещённых поверх оригинальных логотипов.
2 апреля 2007 года Blizzard на своём сайте подтвердила, что Warcraft: Heroes of Azeroth была первоапрельской шуткой, наряду с Tinfoil Hat и Black Temple Attunement Chart, обозначив это сообщение иконками Blizzard и соответствующим цветом текста в своих форумах[12].
Настольные игры
Warcraft: The Roleplaying Game — кампания для ролевой игры Dungeons & Dragons третьей редакции[13]. Позднее вышло исправленное и дополненное издание World of Warcraft RPG[14].
Warcraft: The Board Game — разработана компанией Fantasy Flight Games. Предназначена для компании от двух до четырёх игроков. Каждый игрок командует армией одной из рас. Условия победы и специфические правила описаны в сценариях, по которым происходит конкретная партия. Позднее к игре было выпущено дополнение Warcraft: The Board Game Expansion Set.
World of Warcraft: The Board Game — выпущена компанией Fantasy Flight Games в 2005 году[15]. Предназначена для компании от двух до шести игроков. В 2006 году вышло первое дополнение Shadow of War, а в 2007 году второе дополнение The Burning Crusade.
World of Warcraft: The Adventure Game — разработана компанией Fantasy Flight Games. Предназначена для компании от двух до четырёх игроков. Каждый игрок представлен фигуркой и набором специализированных карт. Игроки выполняют задания, сражаются с монстрами и героями других игроков[16]. К базовому комплекту игры можно докупать дополнения (World of Warcraft: The Adventure Character Pack Expansions).
Коллекционные карточные игры (Trading Card Games)
World of Warcraft Trading Card Game — коллекционная карточная игра, аналог Magic: The Gathering во вселенной Warcraft. Разрабатывается компанией Upper Deck Entertainment. Игра основана на модификации механики Vs. System[17], по правилам которой Upper Deck Entertainment также выпускает коллекционную карточную игру по вселенным Marvel Comics, DC Comics и Хеллбоя.
Карты игры делятся на несколько типов: 1. Карта героя, которая представляет игрока и при «смерти» которой игрок выбывает. Каждый герой обладает своим классом, определёнными способностями и оружием, может призывать определённых союзников. 2. Карты оружия, брони и способностей героев. 3. Карты зон (English: location), выступающие как карты ресурсов. 4. Карты союзников — персонажей, сражающихся на стороне героя. 5. Карты заданий, являющиеся картами ресурсов, но с определённым заданием, выполнив которое игрок получает определённую награду. 6. Карты добычи (English: loot), скретч код на которых позволяет получить в компьютерной игре World of Warcraft уникальный внутриигровой предмет. Существует возможность игры как «каждый сам за себя», так и «команда на команду».
Выпущено несколько стартовых колод и соответствующих серий бустеров:
World of Warcraft TCG: Heroes of Azeroth (выпущена 25 октября 2006)
World of Warcraft TCG: Through the Dark Portal (выпущена 11 апреля 2007)
World of Warcraft TCG: Fires of Outland (выпущена 22 августа 2007)
World of Warcraft TCG: March of the Legion (выпущена 21 ноября 2007[18])
World of Warcraft TCG: Servants of the Betrayer (выпущена 1 апреля 2008[19])
World of Warcraft TCG: Hunt for Illidan (выпущена 1 июля 2008[20])
World of Warcraft TCG: Drums of War (выпущена 28 октября 2008[21])
World of Warcraft TCG: Blood of Gladiators (выпущена 24 марта 2009[22])
World of Warcraft TCG: Fields of Honor (выпущена 30 июня 2009[23])
World of Warcraft TCG: Scourgewar (выпущена 24 ноября 2009[24])
По отдельным правилам проводятся рейды для нескольких игроков:
World of Warcraft TCG: Onyxia’s Lair (выпущен 6 декабря 2006)
World of Warcraft TCG: Molten Core (выпущен 30 мая 2007)
World of Warcraft TCG: Magtheridon’s Lair (выпущен 9 января 2008)
В феврале 2010 года Upper Deck сообщила, что в связи с падением уровня продаж компания приняла решение прервать сотрудничество с Blizzard Entertainment, отказаться от продления лицензии на серию карточных игр World of Warcraft TCG[25].
На официальном форуме Blizzard Entertainment представитель компании подтвердил эту информацию, заверив, что поддержка TCG будет осуществляться вне зависимости от этого силами другого издателя[26].
В марте того же года компания Cryptozoic Entertainment сообщила о приобретении лицензии от Blizzard Entertainment и намерении выпустить новый набор игральных карт[27].
Книги
Warcraft: Архив
Warcraft: Месть Орков — Автор: Ричард А. Кнаак (2001[28]). В конце Второй войны маг Ронин отправляется в земли Кхаз Модана, где орки смогли взять под свой контроль красных драконов и направить их против других рас Азерота. В оригинальном переводе книга несет название — The Day of the Dragon (День Дракона).
Warcraft: Повелитель кланов — Автор: Кристи Голден (2001). Сюжет книги должен был стать основой одноимённой игры[29]. Книга рассказывает о Тралле — орке, который, сбежав из рабства, впоследствии становится вождём Орды.
Warcraft: Of Blood and Honor — Автор: Крис Метзен, один из создателей вселенной Warcraft[29] (2001). Главный герой книги — паладин Тирион Фордринг оказывается спасён орком, представителем расы, которую Тирион считает жестокой и порочной, что заставляет паладина поменять его взгляды на жизнь.
Warcraft: Последний Страж — Автор: Джефф Грабб (2001). Книга рассказывает о Медиве, величайшем маге ордена хранителей Тирисфаля, борющегося против Пылающего Легиона.
Warcraft: Трилогия: Война Древних — Автор: Ричард А. Кнаак (2004—2006). Трилогия о первом вторжении Пылающего легиона в Азерот.
Источник Вечности
Душа Демона
Раскол
Warcraft: Трилогия Солнечного Колодца — комикс в трех частях, нарисованный Чже Хван Кимом по сюжету писателя Ричарда А. Кнаака (2005—2006). Синий дракон Кэйлек по поручению лидера синих драконов Малигоса пытается найти солнечный источник (источник энергии эльфов Кель’Таласа), пропавший во время Третьей Войны.
World of Warcraft: Круг ненависти — Автор: Кейт Р. А. ДеКандидо (2006). Участившиеся нападения на земли Дуротара говорят, что люди хотят возобновить войну с орками. Теперь Джайна и Тралл должны предотвратить беду прежде, чем старая ненависть вспыхнет с новой силой, иначе Калимдор погрузится в ещё одну кровопролитную войну.
World of Warcraft: Хроники Войны
World of Warcraft: Восхождение Орды — Автор: Кристи Голден (2006). Книга повествует о том, как Кил’джеден привел в движение череду событий, в результате которого дренеи были практически изничтожены, а кланы орков объединились в единую непобедимую и безжалостную силу разрушения.
World of Warcraft: Потоки Тьмы — Автор: Аарон С. Розенберг (2007). События книги разворачиваются в сюжетных линиях одноименной игры. Альянс и потоки тьмы Орды, которые вторглись в Азерот, вновь сражаются за Азерот.
World of Warcraft: По ту сторону Темного Портала — Авторы: Аарон С. Розенберг и Кристи Голден (2008). Орк-шаман Нер’Зул становится вождем Орды и открывает Темный Портал. Армия Альянса проникает в Дренор для уничтожения жестокой расы орков.
World of Warcraft: Ночь Дракона — Автор: Ричард А. Кнаак (2008). В Грим Батоле вновь пробудилось зло. Супруг королевы драконов Алекстразы, Кориалстраз, вновь берется за спасение мира. Вместе с магом, по имени Ронин и Верисой Ветрокрылой он спукается в жуткие пещеры Грим Батола.
World of Warcraft: Артас: Возвышение Короля-Лича — Автор: Кристи Голден (2009). Роман рассказывает о жизни Артаса Менетила, об отношениях с очаровательной волшебницей Джайной Праудмур и об ужасной судьбе молодого принца.
World of Warcraft: Ярость Бури — Автор: Ричард А. Кнаак (2010). Главный герой книги ночной эльф друид — Малфурион Ярость Бури пытается распутать тайны Изумрудного Кошмара, ужасного уголка в Изумрудном Сне, который сводит существ с ума.
World of Warcraft: Раскол: Прелюдия к Катаклизму — Автор: Кристи Голден (2010). Сюжет книги описывает события, происходящие перед Катаклизмом.
World of Warcraft: Тралл: Сумерки Аспектов — Автор: Кристи Голден (2011). Изера — Аспект Зеленых драконов просит Тралла о помощи. Бывший вождь Орды, ныне шаман Служителей Земли пытается помочь четырём Аспектам и сделать их единым целым для борьбы с ужасным драконом — Хромагусом.
World of Warcraft: Волчье сердце — Автор: Ричард А. Кнаак (2011). Сюжет разворачивается вокруг королевства расы воргенов — Гилнеасе и короле, по имени — Генн Седогрив.
World of Warcraft: Джайна Праудмур: Приливы Войны — Автор: Кристи Голден (2012). Знаменитая волшебница Джайна Праудмур продолжает свои давние попытки наладить отношения между Ордой и Альянсом. Но нарастающие разногласия приближают две стороны к открытой войне, которая грозит уничтожить появившийся хрупкий союз.
World of Warcraft: Вол'джин: Тени Орды — Автор: Майкл Стакпол (02.07.2013). 352 страницы. Вол’джин — храбрый темный охотник и лидер племени Темного Копья, благодаря своим хитрости и уму он стал верным союзником для бывшего Вождя Тралла. Но сейчас Тени Орды преследуют Вол’джина вплоть до затерянного континента Пандарии. Именно там будет испытана преданность вожака троллей, когда член его же фракции попытается его убить…
World of Warcraft: Иллидан — Автор: Уильям Кинг (2016). Охота Майев Песнь Теней за Иллиданом, отношения Иллидана с Пылающим Легионом, раскрытие истинных мотивов Иллидана в захвате Запределья, появление Иллидари.
World of Warcraft: Варкрафт: Хроники. Энциклопедия. Том 1 — Автор: Крис Метцен, Мэтт Бернс, Роберт Брукс (2016). Большая энциклопедия, описывающая историю зарождения вселенной и Азерота в частности вплоть до открытия Тёмного Портала.
World of Warcraft: Варкрафт: Хроники. Энциклопедия. Том 2 — Автор: Крис Метцен, Мэтт Бернс, Роберт Брукс (2017). История про Гибель Дренора и про Орду и Альянс.
World of Warcraft: Варкрафт: Хроники. Энциклопедия. Том 3 — Автор: Крис Метцен, Мэтт Бернс, Роберт Брукс (2018). Третий том повествует о Третьей войне и переходит к событиям классического World of Warcraft. Основной материал книги ориентирован на Warcraft III.
World of Warcraft: Войны троллей — Автор: Пол Кемп (2018). История о давних годах Кель’Таласа, образование империи Аратор и чёткая хронология событий во времена войны. Обучение людей магии, и помощь Зандаларов и их лоа, последствия войны для Азерота.
World of Warcraft: Перед Бурей — Автор: Кристи Голден (2018). События происходят после кульминации сюжета обновления «Тени Аргуса». Эта история расскажет о том, что ожидает героев Орды и Альянса после их противостояния Пылающему Легиону.
Фильм
В мае 2006 года компания Legendary Pictures приобрела право на съёмку фильма по мотивам серии Warcraft, вместе с Blizzard[30].
Обе компании планируют создать кинофильм, который не следовал бы одной из определённых сюжетных линий игр, но действие всё же происходило бы в том же самом фэнтезийном мире[31].
По словам Пола Сэмса, бюджет фильма будет составлять более 100 миллионов долларов[32].
В июне 2007 года председатель Legendary Pictures Томас Талл объявил, что их киностудия тесно работает с дизайнерами и писателями Blizzard’а, чтобы адаптировать «World of Warcraft» на киноэкран[33].
За экранизацию игры пожелал взяться скандально-известный немецкий режиссёр Уве Болл, известный своими провальными экранизациями компьютерных игр. Он сообщил об этом представителю компании Blizzard Полу Сэмсу, на что Сэмс ему ответил: «Мы не продадим права на фильм, а уж вам и подавно. Поскольку игра добилась огромного успеха, возможно, плохой фильм сильно уменьшит поток новых игроков»[34].
В августе 2007 года на BlizzCon'е, было раскрыто, что фильм готовят к выпуску на 2009 год. Сюжет будет отображать точку зрения Альянса за год до начала сюжета «World of Warcraft». Был также подтверждён бюджет на 100 миллионов долларов, но не было названо ни имя режиссёра, ни имена актёров. Томас Талл сказал, что это будет фильм о войне, а не об отдельных приключениях[35].
В июле 2009 года стало известно, что режиссёрское кресло компания Legendary Pictures доверила Сэму Рэйми, известному по трилогии «Человек-паук», классическим фильмам ужасов «Зловещие мертвецы»[36]. Кроме него, кинокомпания пригласила продюсера фильма «Тёмный рыцарь» Чарльза Ровена.
В планы Сэма Рэйми входили контроль подготовки к производству фильма и его съёмки сразу после окончания работы над четвёртой частью «Человека-паука». Предполагалось, что производством фильма займутся совместно Blizzard Entertainment, как создатель игры, и кинокомпания Legendary Pictures, а студия Warner Brothers будет осуществлять дополнительное финансирование и дистрибуцию.
В 2010 году Сэм Рейми заявил, что Король-Лич будет отсутствовать в его фильме. По его словам, в фильме будет противостояние Орды и Альянса. Время действия фильма — примерно год до событий игры World of Warcraft. Режиссёр заявил, что главными героями фильма будут абсолютно новые, неизвестные персонажи. В фильме будет идти речь о любви главного героя и героини. Также стал известен слух, что Марк Хильдебрандт, возможно, будет сниматься в роли Вариана Ринна[37].
В 2013 году стало известно, что Сэм Рейми ушел из проекта, и режиссёром фильма был назначен Данкан Джонс[38]. Съёмки проходили с января по май 2014 года, а выход фильма на экраны состоялся 25 мая 2016 года.
Художественное содержание
Вселенная Warcraft включает множество миров, объединённых хаотической воронкой, которая носит название Круговерть Пустоты (Twisting Nether). Переход между мирами можно осуществить с помощью так называемых порталов. Описанная история вселенной охватывает более 10 тысячелетий[39].
Первой разумной расой, упоминаемой в официальной истории вселенной Warcraft, являются титаны — боги с железной кожей, которые начинают изменять миры и планеты, создавать на них условия для жизни. Они оберегают созданные ими миры от многочисленных демонических существ, стремящихся уничтожить жизнь во вселенной. Саргерас — гигант из литой бронзы — многие тысячи лет уничтожает демонических существ, однако разочаровывается в замыслах титанов. Он создаёт собственную армию — Пылающий Легион (English: The Burning Legion), целью которой становится уничтожение физического мира.
Мир Азерот
Азерот (English: Azeroth) представляет собой планету, напоминающую Землю. Большая часть описанных событий вселенной Warcraft происходит именно на ней[40].
Мир Азерота включает в себя четыре крупных континента: Калимдор (English: Kalimdor), Восточные королевства (English: The Eastern Kingdoms), Нордскол (English: Northrend), Пандария (English: Pandaria) и прилегающие к ним острова. Массив Восточных Королевств включает в себя два субконтинента — южный (на нем находятся государства Штормград и Каз Модан) и северный континент (Лордерон, Гилнеас, Кель’Талас). Помимо этих континентов, на Азероте также расположены три крупных острова: Кезан (земля гоблинов), Затерянные острова и Скитающийся остров, все они находятся между континентом Пандария и Водоворотом, однако Скитающийся остров не нанесён на карту мира, так как является гигантской черепахой по имени Шэнь-Цзынь Су, которая находится в постоянном движении по Великому морю. Между всеми четырьмя континентами находится Великое море, также Калимдор с востока омывает Сокрытое море, Восточное королевство с запада Зловещее море. В середине Великого моря находится бесконечный водоворот Маэльшторм, за которым расположен подводный город Назджатар (English: Nazjatar), родина наг. В древности Азерот состоял только из одного континента с озером сверкающей энергии, позже названным Колодцем Вечности, в центре. Когда колодец взорвался в конце Войны Древних, этот континент раскололся, и мир принял существующий облик.
Азерот — родина эльфов крови (высших эльфов), ночных эльфов, дворфов, гномов, наг, людей, пандаренов, тауренов, троллей, гоблинов и драконов[40].
История Азерота
В древности на Азероте жили элементали, в один момент из великой тьмы явились Древние Боги, с которыми они воевали, когда древние боги победили, главные элементали поклялись служить им. Армиями Древних Богов командовали самые сильные элементали — Рагнарос Владыка Огня (English: Ragnaros the Firelord), Теразан Мать Камня (English: Therazane the Stonemother), Ал’Акир Владыка Ветра (English: Al’Akir the Windlord) и Нептулон Охотник Приливов (English: Neptulon the Tidehunter).
После прихода армий Титанов (сами титаны не приходили в этот мир, а лишь следили за ним) и битвы с ними все четверо командиров армий Древних Богов были побеждены[41], а Титаны начали изменять ландшафт планеты и создавать разумных существ (в их числе врайкулов, дворфов и пр.). Они заключили договор с Великими Существами — драконами — об охране Азерота. Титаны наделили драконов уникальными способностями. Лидер титанов Аман'тул, брат Саргераса, выбрал бронзового дракона Ноздорму и сделал его защитником времени, рока и судьбы. Титанида Эонар избрала красного дракона Алекстразу и сделала её защитницей всех живых существ. Также Эонар избрала зелёного дракона Изеру, младшую сестру Алекстразы, для контроля человеческого безумия из её королевства Изумрудного Сна (English: The Emerald Dream). Титан Норганнон избрал голубого дракона Малигоса для защиты магии. Титан Каз’горот избрал чёрного дракона Нелтариона для охраны земли.
После этого Титаны ушли, оставив драконов на защиту Азерота. Однако Древние Боги свели Нелтариона с ума своим шептанием, и он предал других драконов во время одной из битв Войны Древних. Позже Нелтарион стал известен под именем Смертокрыл Разрушитель.
За десять тысяч лет до Первой войны в Азероте существовал лишь один континент Калимдор. Его населяли тролли, первоначально принадлежавшие к одному племени Зандалар, которые начали строить свои империи. Самые крупные из них — империя Гурубаши и империя Амани[42]. Общим врагом двух империй троллей была империя разумных насекомых Азж’Акир, позже под их давлением расколовшаяся на два города-государства Азжол-Неруб и Ан’Кираж.
Одно из племён троллей поселилось в джунглях вокруг Колодца Вечности, привлечённое потоками его энергии. Энергия Колодца изменила их, сделав сильными, мудрыми и фактически бессмертными. Племя стало называть себя «Калдорей», что в переводе с дарнасского означало «дети звезд». Они поклонялись богине Элуне и являлись предками ночных эльфов. Любопытство калдореев привело их к Кенарию, научившему племя любить и почитать природу, жить в гармонии с ней[43].
Ночные эльфы быстро стали притеснять троллей и в итоге, на территории, где в древности находился Колодец Вечности, развили свою огромную магическую империю[42].
Королева Ночных эльфов, Азшара, построила на берегах Колодца Вечности дворец, в котором жили приближенные к ней эльфы. Она называла их «калдорай» или «высокорожденные». Несмотря на то, что королева была любима всеми, ночные эльфы тайно презирали высокорожденных. Позже Азшара и высокорожденные стали изучать энергию Колодца. Они быстро поняли, что больше не нуждаются в примитивной друидической магии своих соплеменников. Не слушая советы Кенария, Азшара и её эльфы продолжили изучать энергию Колодца и экспериментировать с ней, превратившись в надменных и высокомерных существ.
Всплески энергии привлекли внимание Саргераса и Пылающего Легиона[44]. Азшара и её сподвижники быстро пали жертвами Саргераса, находясь в экстазе от своей магии. Азшара разрешила Саргерасу войти в Азерот, а высокорожденные стали почитать его как бога. После всех приготовлений, Саргерас начал вторжение в Азерот. Армия под предводительством Маннорота и Архимонда сметала все на своем пути.
Двое братьев, Малфурион Ярость Бури, сторонник друидической магии, и Иллидан, один из высокорожденных, с помощью жрицы Тиранды разыскали Кенариуса и попросили его о помощи. Кенарий пробудил Высших существ, животных-полубогов: Агамагган — гигантский вепрь, Тортолла — бог-черепаха, Малорн — Белый олень, Авиана — богиня-ворон, Ло’Гош — бог-волк и аспектов драконов. Во время битвы безумие охватило Нелтариона, и он предал своих братьев и сестёр. В это же время Азшара и сильнейшие из Высокорожденных пытались открыть портал для Саргераса.
Битва между Азшарой и Малфурионом повлекла за собой взрыв Колодца Вечности. На месте Колодца Вечности образовался вечный Водоворот (англ. Maelstrom). Азшара и её последователи были затянуты внутрь Водоворота и превратились в наг (возможно, попросив об этом Йогг-Сарона или Н’зота). На дне Водоворота они построили город Назджатар и стали восстанавливать свою силу, чтобы подняться на поверхность Азерота[45].
После войны эльфы разделились на две группы — ночных эльфов, приверженцев друидической магии, и высших эльфов, части бывших приближённых королевы Азшары, поддержавшей вторжение Пылающего Легиона. Позже высшие эльфы были изгнаны из земель ночных эльфов. Они поселились на севере Лордерона и создали своё собственное могущественное государство — Кель-Талас. Но здесь до сих пор была весьма влиятельна империя Амани, и вскоре две совершенно противоположные культуры сошлись в битвах, позднее названных Войнами Троллей. В конце Войн Троллей высшие эльфы объединились с людьми рода Арати, и после битвы троллей и эльфов получилось два народа и одно разрозненное государство.
Тем временем в мире Дренор эредар Кил'джеден заставил ранее мирных и даже дружелюбных орков пойти войной на Азерот. Эта война была задумана для того, чтобы ослабить защитников Азерота перед вторым вторжением Пылающего Легиона[46]. Оркам удалось взять и уничтожить множество городов людей, в том числе Штормград. Выжившие люди отступили в северное королевство Лордерон. Лидеры семи наций людей объединились перед общим врагом. К альянсу также присоединились дворфы, гномы и высшие эльфы. Орда, в свою очередь, привлекла на свою сторону троллей и привела с Дренора огров. Однако в результате раскола в стане Орды орки и огры в Азероте были повержены и заключены в резервации.
С целью реванша лидеры Пылающего Легиона, используя заточённого на Ледяном Троне Короля Мёртвых, создали карательную Армию Плети и вторглись в пределы Лордерона. В то же время, часть оставшихся в Азероте орков объединилась под предводительством Тралла и отплыла в Калимдор. Там орки неожиданно нашли новых союзников в лице народа тауренов. После того, как принц Артас Менетил обнаружил меч Фростморн, он стал подданным Короля Мёртвых, после чего убил собственного отца. Лидер Легиона Тихондриус (Тикондрус в Warcraft) уговорил его присоединиться к ним и втянуть Кель’Талас и Лордерон в войну. Во главе Плети Артас уничтожил множество городов, включая Луносвет, осквернил Солнечный Колодец и уничтожил почти всех Высших Эльфов. Так началась Третья Война. Только объединившись, армии ночных эльфов, орков, троллей Чёрного Копья, тауренов, дворфов и людей смогли дать отпор Пылающему Легиону и уничтожить демона Архимонда. Позже, в результате заклятья, прочитанного Иллиданом, Король Мёртвых утратил контроль над частью нежити, которая под предводительством убитой Артасом эльфийки Сильваны Ветрокрылой отделилась от Плети и стала называться народом Отрёкшихся.
Дренор
Дренор (English: Draenor) — это суровый мир, озарённый красноватым светом. До разрушения Запределье было очень похоже на Азерот. После разрушения оно было затянуто в Круговерть Пустоты (English: Twisting Nether). У Запределья больше не было солнца, но была луна, находившаяся намного дальше, чем до разрушения этого мира. Орки назвали её «Бледной Госпожой». Вода может показаться грязной, но это не так: эта планета вполне способна поддерживать жизнь. Это родина орков и других рас — огров, дренорских гигантов[47], араккоа (птицелюдей), гроннов и убежище для дренеев — эредаров, бежавших от власти Саргераса из своего родного мира Аргус. Из Запределья армии орков вторгались в Азерот через разлом в ткани вселенной, называемый Тёмным порталом. Силы, вызванные открытием этого и других порталов, привели к тому, что мир развалился на несколько островов и обломков суши, которые дрейфуют независимо друг от друга. Эти обломки соединены цепями, вдоль которых различные существа перелетают или же перепрыгивают с обломка на обломок.
Ранее орки построили множество чёрных крепостей вокруг своей земли, и некоторые из них стоят до сих пор. Войска Пылающего Легиона разбили здесь свои лагеря и осквернили коммуны дренеев, разбросанные вокруг островов.
Раньше Запределье отличалось сравнительно тёплым климатом. Его поверхность практически полностью была покрыта прериями и лесами из деревьев, напоминавших гигантские грибы. Цвет неба менялся от оранжевого к красному. Орки, исповедовавшие шаманские культы, под влиянием шамана (позже ставшего чернокнижником) Гул’дана попали под влияние Пылающего Легиона и начали использовать чёрную магию, что привело к порче целого мира. Постепенно прерии исчезли, уступив место красным пустошам. Мир медленно умирал.
После разрушения Запределья мало кто остался в живых из числа дренеев, а остатки были в дальнейшем изуродованы орками Скверны (English: Fel Orcs), возглавляемыми Владыкой Преисподней Магтеридоном (Магеридон в Warcraft), который окончательно покорил остатки мира. Вред, нанесенный Запределью, изменил реальность и время в нём.
Магтеридон правил Запредельем из Чёрного Храма с помощью своих преданных помощников, известных как Повелитель Боли и Госпожа Страданий. Из его стальной хватки мир был вырван лишь Иллиданом, эльфами крови и нагами.
Наиболее существенным обломком Запределья (наряду с остатками Пламенных гор) является до сих пор обитаемый полуостров Адского пламени, в настоящее время парящий в космосе и известный как Внешний мир.
Мир Аргус
Аргус (English: Argus) — родина эредаров (и, соответственно, дренеев). Аргусом правил триумвират могущественнейших магов-эредаров. Это были Кил'джеден (English: Kil'jaeden), Архимонд (English: Archimonde) и Велен (English: Velen). Достоверно известно, что на планете были холодные горы Кааринос (English: Kaarinos) и множество городов с одаренными магами, а самым священным из них была столица Мак-Ари (English: Mac'Aree). Согласно легендам, это был город, устланный драгоценностями и испещрённый реками-каналами, сверкающими даже ночью.
Приблизительно 25 000 лет назад к этой могущественной расе эредаров явился падший титан Саргерас, который предложил им присоединиться к его Пылающему Легиону и стать повелителями множества миров. Архимонд и Кил’джеден были готовы сразу согласиться, но Велен сомневался в истинных намерениях чужака. Затем он получил видение, в котором увидел будущее эредаров, согласившихся стать частью Легиона — они превратятся в демонов. Велен попытался предупредить об этом своих братьев, но те были уже опьянены мечтами о власти, и Велен понял, что с этого момента потерял их. В отчаянии он попросил помощи у небес, и ему ответили Наару.
Наару являются врагами Легиона и сторонниками Света. Они втайне собирают все расы, противящиеся Саргерасу, чтобы однажды создать единую непобедимую Армию Света. Велен согласился присягнуть на верность Свету, если Наару помогут его народу. В назначенный час Велен собрал горстку единомышленников и едва успел бежать от сил Кил’джедена, который уже превратился в демона и считал Велена предателем своей расы.
Кил’джеден, Архимонд и все остальные оставшиеся эредары Аргуса стали частью Легиона. Что стало с этим миром после, неизвестно.
Мир Кареш
Кареш (English: K'aresh) — мир с двумя солнцами и родина расы бесплотных эфириалов (English: Ethereals), которая странствует по Нижнему Вихрю. Планета была завоевана армиями Владыки Пустоты Дименсиуса (English: Void Lord Dimensius). Текущее состояние мира неизвестно.
Мир Зорот
Зорот (English: Xoroth) — пылающая адская планета, принадлежащая Пылающему Легиону, а именно натрезимам (English: Nathrezim), то есть Повелителям Ужаса (English: Dread Lords). Правит там владыка Хел’нурат (English: Hel'nurath). Зорот славится своими огненными демоническими лошадьми, которые используются в качестве транспорта.
Столичные города
Дарнас (English: Darnassus) — столица ночных эльфов, расположенная на острове около северо-западной оконечности Калимдора.
Стальгорн (English: Ironforge) — столица дворфов и гномов. Город построен в одной из гор заснеженной области Дун Морог.
Оргриммар (English: Orgrimmar) — столица орков, названная в честь Оргрима Молота Рока. Она расположена на дне глубокой извилистой расселины Дуротара.
Штормград (English: Stormwind) — столица людей, расположена в северной части Элвинского Леса.
Громовой Утёс (English: Thunder Bluff) — столица расы тауренов, расположенная в Мулгоре на нескольких столбчатых утёсах, соединённых подвесными мостами.
Подгород (English: Undercity) — столица Отрёкшихся, расположенная под разрушенной столицей Лордерона.
Экзодар (English: Exodar) — разбившийся космический корабль дренеев, ставший их столицей в Азероте.
Луносвет (English: Silvermoon) — столица эльфов крови, частично разрушенная Артасом во время Третьей войны.
Шаттрат (English: Shattrath) — столица расколотых земель Запределья, основанная беженцами-эредарами, впоследствии ей стали править Наару, а населять её стали беженцы из других миров (дренеи, жители Азерота и Запределья, отрекшиеся от Кель’таса эльфы крови и др.).
Даларан (English: Dalaran) — столица магов Кирин-Тора. До обновления Wrath of the Lich King Даларан располагался в Восточных Королевствах, но после обновления, по сюжету, маги Кирин-Тора задействовали всю свою силу, и теперь Даларан парит высоко над землями Нордскола. На момент событий дополнения Legion Даларан перенесён в небо над Расколотыми Островами между Нордсколом и Восточными Королевствами.
Гилнеас (English: Gilneas City) — столица людского королевства Гилнеас. В дополнении Cataclysm — столица воргенов Гилнеаса.
Круговерть Пустоты и Потусторонье
Круговерть пустоты (English: Twisting Nether) — астральный план между мирами, скопление хаотической магии. Круговерть пустоты стала убежищем для демонических существ, откуда они проникли в миры Титанов[39][48].
Наиболее точно следовало бы определить Круговерть как высшую грань бытия, где обитают могущественные существа. Круговерть не является синонимом космоса, поскольку есть сведения, что народы Азерота имели представление непосредственно о космосе. У гномов, например, были астролябии, они владели информацией о движении планет и звёзд, в том числе небесных тел за пределами Солнечной системы. Более того, у эльфов были телескопы для наблюдения за ночным небом. Пространство между звёздами и планетами называется «Великая потусторонняя тьма» (English: The Great Dark Beyond)[39], или просто «Потусторонье» (English: The Beyond). С другой стороны, Круговерть называлась иногда Пустотой, адским местом вне пространства и времени, как их понимают смертные, царством демонов, о которых Гул’дан говорит как о «давно мёртвых».
Демоны Пылающего легиона
Известные расы демонов Нижнего Вихря:
Эредар
Натрезим
Владыки Преисподней
См. также
Расы Warcraft
Классы (World of Warcraft)
Организации Warcraft
Волшебные предметы Warcraft
Примечания
Литература
Ссылки
IGN: ( и )
(in English)
(in English)
*
Warcraft | https://ru.wikipedia.org/wiki/%D0%92%D1%81%D0%B5%D0%BB%D0%B5%D0%BD%D0%BD%D0%B0%D1%8F%20Warcraft |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
130,
663,
1491,
1834,
1906,
2191,
2675,
2744,
2987,
3074,
3398,
3644,
4283,
4362,
4550,
4862,
4998,
5227,
5297,
5601,
6035,
6073,
6258,
6768,
6847,
7182,
7275,
7452,
8220,
8452,
8498,
8711,
8793,
9123,
9368,
9537,
9976,
10092,
10410,
10726,
10893,
11054,
11548,
11797,
11904,
11954,
12586,
12637,
12824,
13002,
13592,
13965,
14019,
14369,
14532,
14772,
14850,
15152,
15461,
15589,
15634,
15820,
16351,
17293,
17557,
17751,
17894,
18169,
18418,
18672,
18764,
19186,
19556,
19769,
20061,
21056,
21360,
22103,
22153,
22473,
22822,
22912,
23343,
23416,
23805,
24420,
24674,
24764,
24929,
25058,
25557,
25712,
25847,
25911,
26276,
26348,
26658,
27046,
27124,
27164,
27296,
28065,
28250,
28601,
28710,
29007,
29296,
30318,
31045,
31468,
31612,
31689,
32001,
32204,
32513,
32809,
32873,
33229,
33654,
33860,
33918,
34295,
34611,
34987,
35468,
35729,
35799,
36089,
36412,
36574,
37015,
37199,
37270,
37504,
37561,
37822,
37936,
38100,
38228,
38374,
38468,
38826,
39143,
39517,
39870,
40347,
40793,
40840,
41154
],
"plaintext_end_byte": [
129,
653,
1490,
1779,
1905,
2190,
2665,
2743,
2986,
3073,
3397,
3643,
4256,
4361,
4549,
4861,
4997,
5213,
5296,
5600,
6034,
6072,
6257,
6746,
6846,
7181,
7274,
7451,
8219,
8451,
8497,
8691,
8792,
9122,
9367,
9536,
9975,
10091,
10409,
10693,
10891,
11052,
11547,
11796,
11903,
11953,
12575,
12636,
12823,
13001,
13570,
13964,
14018,
14368,
14531,
14751,
14849,
15151,
15460,
15588,
15633,
15819,
16350,
17272,
17556,
17750,
17893,
18168,
18417,
18642,
18763,
19185,
19555,
19768,
20060,
21055,
21359,
22093,
22152,
22472,
22821,
22911,
23323,
23415,
23804,
24419,
24673,
24763,
24928,
25012,
25556,
25711,
25846,
25910,
26264,
26347,
26657,
27045,
27123,
27163,
27295,
28064,
28249,
28583,
28709,
29006,
29295,
30317,
31044,
31452,
31611,
31688,
32000,
32203,
32512,
32789,
32872,
33228,
33653,
33837,
33917,
34294,
34610,
34986,
35467,
35717,
35798,
36088,
36411,
36573,
37014,
37178,
37269,
37503,
37560,
37821,
37935,
38067,
38227,
38349,
38467,
38825,
39142,
39516,
39869,
40346,
40733,
40839,
41041,
41178
]
} | Mitä nimitystä käytettiin Suomessa aiemmin psykiatriasta? | Yliopistolliset tutkinnot Suomessa | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Yliopistotutkinnot ovat yliopistoissa suoritettavia tutkintoja. Ne muodostavat Suomessa järjestelmän, jossa on neljä tasoa:
alemmat korkeakoulututkinnot
nimike yleensä kandidaatti, poikkeus esimerkiksi farmaseutti ja oikeusnotaari
ylemmät korkeakoulututkinnot
maisteri (yleisin nimike)
lisensiaatti (lääketiede, hammaslääketiede ja eläinlääketiede)
proviisori (farmasia)
diplomi-insinööri (tekniikka)
arkkitehti (arkkitehtuuri) ja maisema-arkkitehti (maisema-arkkitehtuuri)
ammatilliset jatkotutkinnot
erikoislääkäri, erikoishammaslääkäri ja erikoiseläinlääkäri
tieteelliset ja taiteelliset jatkotutkinnot
lisensiaatti
tohtori
Historia
Suomessa kandidaatti vastasi ennen toisinaan maisteria (esimerkiksi OTK), toisinaan se oli alempi tutkinto (esimerkiksi LuK). Tutkintouudistuksen jälkeen (2005) suoritettavissa yliopistotutkinnoissa kandidaatti on kolmivuotinen (yliopistossa, ylioppilastutkinnon jälkeen) ja maisteri (jota vastaavia ovat muun muassa diplomi-insinööri ja arkkitehti) viisivuotinen (siis kaksi lisävuotta) tutkinto, joskin todelliset suoritusajat ovat usein pidempiä. Tieteellistä tutkijakoulutusta haluavat voivat sen jälkeen suorittaa lisensiaattitutkinnon, joka muodostuu opinnoista ja lisensiaatintyöstä, mutta nykyään useimmat suorittavat suoraan tohtorin tutkinnon (yleensä 3-6 tutkimus- ja opiskeluvuotta maisterintutkinnon jälkeen, joskus paljon kauemmin), jossa keskeisintä on omaan tutkimukseen perustuva väitöskirja.
Monessa muussa maassa tohtorintutkinnon saa vähäisemmin ponnistuksin ja lisensiaatti on tuntematon. Osassa niistä on olemassa erikseen ylempi tohtorin tutkinto, joka maasta riippuen on suomalaisen tasoinen, alempi tai ylempi. Jotkin "doctor"-nimikkeet vastaavat vain kandidaatin tasoa.
Tutkinnot koulutusaloittain
Eläinlääketieteellinen
Eläinlääketieteellisellä alalla voi suorittaa seuraavia tutkintoja:
eläinlääketieteen kandidaatti (lyh. eläinlääket. kand ja ELK[1]) (ei varsinainen tutkinto)
eläinlääketieteen lisensiaatti (eläinlääket. lis. ja ELL[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
eläinlääketieteen tohtori (eläinlääket. toht. ja ELT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Eläinlääketieteellisen alan tutkintoihin voi Suomessa valmistua ainoastaan Helsingin yliopiston eläinlääketieteellisessä tiedekunnasta. Siellä suoritettava eläinlääketieteen koulutusohjelma koostuu 3-vuotisesta eläinlääketieteen kandidaatin tutkinnosta (180 op) ja 3-vuotisesta eläinlääketieteen lisensiaatin tutkinnosta (180 op). Koko tutkinnon (6 v, 360 op) suorittaminen on edellytys ammatilliselle laillistumiselle ja eläinlääkärin pätevyydelle.[2]
Farmasia
Farmasia-alalla voi Suomessa suorittaa seuraavat yliopistotutkinnot:
farmaseutti (farm.) (alempi korkeakoulututkinto)
proviisori (prov.) (ylempi korkeakoulututkinto)
farmasian lisensiaatti (farm. lis. ja FaL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
farmasian tohtori (farm. toht. ja FaT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Farmasian ylioppilas on alan opiskelijasta käytetty nimitys. Se ei siis ole tutkinto.
Perinteisesti on proviisorin koulutus tähdännyt apteekkarin ammattiin[3], ja se onkin pakollinen apteekkarille. Farmaseutit työllistyvät useimmiten myös apteekkeihin apteekkarin alaisiksi. Proviisoriksi voi opiskella Helsingin ja Itä-Suomen yliopistoissa (Kuopiossa) ja farmaseutiksi näiden lisäksi Åbo Akademissa.
Alalla on aiemmin ollut toinenkin ylempi korkeakoulututkinto, farmasian kandidaatti (farm. kand. ja FaK[1]), joka tähtäsi selkeämmin akateemiselle uralle. Farmasian kandidaatti saattoi ostaa farmasian maisterin (farm. maist. ja FaM[1]) arvon.
Farmasian alan alemman, farmaseutin tutkinnon (180 op) suorittaminen kestää täysipäiväisesti opiskellen kolme vuotta. Tämän jälkeen suoritettava ylempi korkeakoulututkinto eli proviisorin tutkinto (120 op) on täysipäiväisesti opiskellen suoritettavissa kahdessa vuodessa. Yleissäännöstä poiketen opiskelija, joka on hyväksytty suorittamaan alempaa korkeakoulututkintoa, ei voi suoraan jatkaa proviisorin tutkintoon. Proviisorintutkintoon järjestetään erillinen pääsykoe, jossa hyväksytyksi tulleet saavat oikeuden suorittaa sekä alemman (farmaseutti) että ylemmän (proviisori) tutkinnon.
Hammaslääketieteellinen
Hammaslääketieteellisellä koulutusalalla voi suorittaa seuraavat tutkinnot:
hammaslääketieteen lisensiaatti (hammaslääket. lis. ja HLL[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
hammaslääketieteen tohtori (hammaslääket. toht. ja HLT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Alalla ei ole alempaa korkeakoulututkintoa,[4] vaan alalla suoritettava hammaslääketieteen koulutusohjelma suoritetaan yksiportaisena. Opiskelijoille voidaan kuitenkin myöntää hammaslääketieteen kandidaatin arvonimi tiettyjen opintojen suorittamisen jälkeen, mutta tämä ei ole varsinainen tutkinto.[5]
Hammaslääketieteen koulutusohjelma on laajuudeltaan 330 opintopistettä, ja sen ohjeellinen suoritusaika on viisi ja puoli vuotta.[6]
Hammaslääketieteen tutkintojen suorittaminen on mahdollista Helsingin, Oulun, Turun yliopistoissa ja Itä-Suomen yliopistossa (Kuopiossa), joista jälkimmäisessä koulutus aloitettiin uudelleen syksyllä 2010.[7]
Humanistinen
Humanistisella alalla voi yliopistossa suorittaa seuraavat tutkinnot:
humanististen tieteiden kandidaatti (hum. kand. ja HuK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
filosofian maisteri (fil. maist. ja FM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
filosofian lisensiaatti (fil. lis. ja FL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
filosofian tohtori (fil. toht. ja FT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Aiemmin ylemmän korkeakoulututkinnon nimi oli filosofian kandidaatti (fil. kand ja FK), ja maisterin arvo voitiin myöntää erikseen kandidaatin tutkinnon suorittaneelle, esimerkiksi juhlallisen promootion yhteydessä.
Samat tutkintonimikkeet alempaa korkeakoulututkintoa lukuun ottamatta ovat käytössä myös luonnontieteellisellä alalla. Tällöin alempi korkeakoulututkinto oli nimeltään Luonnontieteiden kandidaatti (LuK).
Humanistisen tutkinnon voi suorittaa:
Helsingin yliopistossa
Itä-Suomen yliopistossa (Joensuussa)
Jyväskylän yliopistossa
Oulun yliopistossa
Tampereen yliopistossa
Turun yliopistossa
Vaasan yliopistoissa
Åbo Akademissa
Nimestään huolimatta useimmat filosofian maisterit eivät ole lukeneet lainkaan filosofiaa. Esimerkiksi Helsingin yliopistossa filosofian opinnot on jaettu teoreettiseen (sekä ruotsinkieliseen koulutukseen) (humanistisessa tiedekunnassa) ja käytännölliseen filosofiaan (valtiotieteellisessä tiedekunnassa). Osa filosofian pääaineopiskelijoista siis valmistuu yhteiskuntatieteiden maisteriksi (yhteiskuntat. maist. ja YTM) tai valtiotieteiden maisteriksi (valtiot. maist. ja VTM).
Kasvatustieteellinen
Kasvatustieteellisellä alalla voi yliopistossa suorittaa seuraavat tutkinnot:
kasvatustieteen kandidaatti (kasvatust. kand. ja KK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
kasvatustieteen maisteri (kasvatust. maist. ja KM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
kasvatustieteen lisensiaatti (kasvatust. lis. ja KL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
kasvatustieteen tohtori (kasvatust. toht. ja KT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Kasvatustieteen ylioppilas on alan opiskelijasta käytetty nimitys. Se ei siis ole tutkinto.
1970-luvulta 1990-luvun alkuun kasvatustieteen kandidaatin tutkinto oli ylempi korkeakoulututkinto ja maisterin arvo myönnettiin anomuksesta leimaveron suorittamisen jälkeen.
Alalla oli myös tuolloin alempi korkeakoulututkinto, nimeltään lastentarhanopettajan tutkinto (lastent.op. ja LTO). Nykyään lastentarhanopettajat ovat viralliselta tutkinnoltaan kasvatustieteen kandidaatteja. Vuosina 1974–1979 luokanopettajien koulutus johti vastaavalla tavalla kolmivuotiseen peruskoulunopettajatutkintoon (perusk.op. ja PkO). Tämä tutkinto oli koulutusjärjestelmässämme epäselvässä asemassa, sillä se suoritettiin yliopistossa, muttei rinnastunut edes alempaan korkeakoulututkintoon. Koulutus oli käytännössä jatkoa aiemmalle seminaarien ylioppilaspohjaiselle kansakoulunopettajakoulutukselle, joka johti kansakouluopettajatutkintoon. Vuodesta 1979 lähtien luokanopettajien koulutus johtaa kasvatustieteen maisterin tutkintoon.
Alun perin tieteen nimi oli monikossa, esimerkiksi kasvatustieteiden kandidaatti, mutta muutettiin sitten yksikkömuotoon. Monikkomuoto näkyy kuitenkin esimerkiksi yliopistojen tiedekuntien nimissä (kasvatustieteiden tiedekunta).
Kasvatustieteellisen tutkinnon voi suorittaa:
Helsingin yliopistossa
Itä-Suomen yliopistossa (Joensuussa)
Jyväskylän yliopistossa
Lapin yliopistossa
Oulun yliopistossa
Tampereen yliopistossa
Turun yliopistossa
Åbo Akademissa (Vaasassa)
Kauppatieteellinen
Kauppatieteellisellä alalla voi Suomessa suorittaa seuraavat yliopistotutkinnot:
kauppatieteiden kandidaatti (kauppat. kand. ja KTK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
kauppatieteiden maisteri (kauppat. maist. ja KTM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
kauppatieteiden lisensiaatti (kauppat. lis. ja KTL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
kauppatieteiden tohtori (kauppat. toht. ja KTT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Kauppatieteiden ylioppilas on alan opiskelijasta käytetty nimitys, joka ei siis ole tutkinto. Kauppatieteiden opiskelijan puhekielinen nimitys on kylteri. Kauppatieteiden maisterin tutkinnon suorittanut henkilö saa käyttää ekonomin arvoa.
Vuosina 1980–1995 ekonomi oli ylempi korkeakoulututkinto, jonka suorittanut sai ostaa kauppatieteiden maisterin arvon. Alempaa korkeakoulututkintoa ei tuolloin ollut.
Ennen vuotta 1980 puolestaan ekonomi oli alempi korkeakoulututkinto ja kauppatieteiden kandidaatti ylempi korkeakoulututkinto. Kauppatieteiden maisterin arvon saattoi ostaa. Svenska Handelshögskolanissa ekonomin tutkintoa vastasi diplomiekonomin (dipl.ekon. ja DE) tutkinto. Alalla oli tuolloin myös muita alempia korkeakoulututkintoja: kirjeenvaihtaja, diplomikirjeenvaihtaja (Svenska Handelshögskolanissa) sekä akateeminen sihteeri.
Lisäksi taloustiedettä lukeneilla oli käytössä seuraavat liiketaloustieteitä lukeneista poikkeavat nimikkeet:
taloustieteiden kandidaatti (taloust. kand. ja TTK[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
taloustieteiden maisteri (taloust. maist. ja TTM[1]) (ostettava arvo)
taloustieteiden lisensiaatti (taloust. lis. ja TTL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
taloustieteiden tohtori (taloust. toht. ja TTT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Taloustieteen opiskelijaa saattoi kutsua taloustieteiden ylioppilaaksi. Nykyään ei tutkintoja enää myönnetä, mutta taloustieteen tutkinnon (kauppatieteen tutkinnon ohella yhteiskuntatieteiden tai valtiotieteiden tutkinto) suorittaneita asiantuntijoita kutsutaan ekonomisteiksi.
Kauppatieteitä voi opiskella:
Aalto-yliopiston kauppakorkeakoulussa
Itä-Suomen yliopistossa (sekä Joensuussa että Kuopiossa)
Jyväskylän yliopistossa
Oulun yliopistossa
Tampereen yliopistossa
Vaasan yliopistossa
Lappeenrannan teknillisessä yliopistossa
Turun kauppakorkeakoulussa ja sen Porin yksikössä
Svenska handelshögskolanissa
Åbo Akademissa
Taloustieteestä voi valmistua myös yhteiskuntatieteelliseltä koulutusalalta Helsingin ja Turun yliopistoista sekä Åbo Akademissa. Helsingissä oppiaineen nimi on taloustiede ja se sijaitsee valtiotieteellisessä tiedekunnassa, Turussa aine on puolestaan osa kauppatieteellistä taloustiede-oppiainetta Turun kauppakorkeakoulussa. Åbo Akademissa oppiaineen nimi on taloustiede ja se sijaitsee yhteiskuntatieteiden ja kauppatieteiden tiedekunnassa yhteiskuntatieteiden koulutusohjelmassa.
Lisäksi kauppatiedettä voi opiskella maksullisissa ulkomaisten yliopistojen Suomessa toimivissa yksiköissä. Näitä ovat muun muassa Henley Business School, University of Northampton (yhdessä HELBUSin kanssa)[8] sekä Estonia Business School.
Aikaisemmin kauppatieteitä opetettiin myös Lapin yliopistossa, jossa tutkinnon myönsi Oulun yliopisto.
Muita kaupallisen alan tutkintoja Suomessa ovat:
Merkonomi, joka on toisen asteen tutkinto.
Liiketalouden ammattikorkeakoulututkinto, Tradenomi (AMK). Englanniksi tutkinto on Bachelor of Business Administration (BBA). Tutkinto rinnastetaan alempaan korkeakoulututkintoon esimerkiksi virkoja haettaessa.
Liiketalouden ylempi ammattikorkeakoulututkinto, Tradenomi (YAMK). Englanniksi tutkinto on Master of Business Administration (MBA). Tutkinto rinnastetaan ylempään korkeakoulututkintoon esimerkiksi virkoja haettaessa.
Executive Master of Business Administration (eMBA) ei ole virallisen koulutusjärjestelmän mukainen tutkinto. Tutkinto luetaan jatkokoulutukseksi.
Kuvataide
Kuvataidealalla voi suorittaa seuraavat tutkinnot:
kuvataiteen kandidaatti (KuK) (alempi korkeakoulututkinto)
kuvataiteen maisteri (KuM) (ylempi korkeakoulututkinto)
kuvataiteen tohtori (KuT) (tieteellinen tai taiteellinen jatkotutkinto)
Alalla ei ole lisensiaatintutkintoa. Aiemmin oli alemman tutkinnon nimenä yksinkertaisesti kuvataiteen tutkinto, ja ylemmän tutkinnon nimenä Kuvataideakatemian loppututkinto.
Alan tutkintoja myöntää ainoastaan Taideyliopiston Kuvataideakatemia Helsingissä, joka on ainoa yliopistotasoinen kuvataiteen koulutuspaikka Suomessa. Nimestään huolimatta kuvataiteen aineenopettajia kouluttava kuvataidekasvatuksen koulutusohjelma ei kuulu kuvataiteen koulutusalaan, vaan taideteolliseen koulutusalaan (Aalto-yliopiston taiteiden ja suunnittelun korkeakoulu ja Lapin yliopisto). Aalto-yliopiston taiteiden ja suunnittelun korkeakoulussa on lisäksi kuvataiteen maisteriohjelma, joka on myös osa taideteollista koulutusalaa, ei kuvataiteen alaa.
Liikuntatieteellinen
Liikuntatieteisiin lukeutuvia aineita voi Suomessa opiskella ainoastaan Jyväskylän yliopistossa, jossa mahdollisia pääaineita ovat liikuntapedagogiikka, liikunnan yhteiskuntatieteet (liikuntasosiologia sekä liikuntasuunnittelu ja -hallinto)[9], biomekaniikka, liikuntafysiologia sekä valmennus- ja testausoppi[10]. Aineet kuuluvat liikuntatieteelliseen tiedekuntaan.
Liikuntatieteissä voi suorittaa seuraavat tutkinnot:
liikuntatieteiden kandidaatti (liikuntat. kand. ja LitK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
liikuntatieteiden maisteri (liikuntat. maist. ja LitM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
liikuntatieteiden lisensiaatti (liikuntat. lis. ja LitL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
liikuntatieteiden tohtori (liikuntat. toht. ja LitT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Alan opiskelijasta käytetään nimitystä liikuntatieteiden ylioppilas. Tyypillinen liikuntatieteen maisteriksi valmistuneen ammatti on koulun liikunnanopettaja.
Aiemmin liikuntatieteen kandidaatti oli ylempi korkeakoulututkinto ja maisterin arvon saattoi erikseen ostaa. Alemman korkeakoulututkinnon nimi oli tuolloin liikuntakasvatuksen kandidaatti (LiK tai liikuntak. kand.[1]).
Luonnontieteellinen
Luonnontieteellisellä alalla voi yliopistossa suorittaa seuraavat tutkinnot:
luonnontieteiden kandidaatti (luonnont. kand. ja LuK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
filosofian maisteri (fil. maist. ja FM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
filosofian lisensiaatti (fil. lis. ja FL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
filosofian tohtori (fil. toht. ja FT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Aiemmin ylemmän korkeakoulututkinnon nimi oli filosofian kandidaatti (fil. kand. ja FK[1]), ja maisterin arvo myönnettiin halukkaille filosofian kandidaateille leimaveron maksamista vastaan.
Samat tutkintonimikkeet alempaa korkeakoulututkintoa lukuun ottamatta ovat käytössä myös humanistisella alalla.
Filosofian ylioppilas (fil. yo.) on alan tutkintoa suorittamattomasta opiskelijasta käytetty nimitys. Se ei siis ole tutkinto.
Luonnontieteellisen tutkinnon voi suorittaa:
Helsingin yliopistossa
Itä-Suomen yliopistossa (sekä Joensuussa että Kuopiossa)
Jyväskylän yliopistossa
Oulun yliopistossa
Tampereen yliopistossa
Turun yliopistossa
Åbo Akademissa
Uudessa tutkintoasetuksessa (794/2004) mainitaan lisäksi, että Tampereen teknillisessä yliopistossa suoritetun luonnontieteellisen tutkinnon tutkintonimike on vastaavan teknillistieteellisen tutkinnon tutkintonimike. Tämä viittaa Tampereelta valmistuviin teknis-luonnontieteellisiin diplomi-insinööreihin. Jotta yliopistolla olisi oikeus myöntää näille opettajan pätevyys, joka edellyttää matemaattis-luonnontieteellisiä opintoja, vastaava DI-tutkinto on luokiteltu matemaattis-luonnontieteellisen alan tutkinnoksi.
Nimestään huolimatta useimmat filosofian maisterit eivät ole lukeneet lainkaan filosofiaa. Suurin osa filosofian pääaineopiskelijoista puolestaan valmistuu yhteiskuntatieteiden maisteriksi (yhteiskuntat. maist. ja YTM) tai valtiotieteiden maisteriksi (valtiot. maist. ja VTM). Filosofian maisterin tutkinnolla onkin ollut, osin turhaan, teoreettisen tutkinnon maine verrattuna vastaavaan diplomi-insinööritutkintoon. Tätä on haluttu lieventää jopa pääainenimikkeillä, esimerkiksi Jyväskylän yliopistossa pääaineekseen voi valita nimenomaan tietotekniikan vaikka tietojenkäsittelytiedekin on mahdollinen. Ongelma koskeekin erityisesti kemistejä, fyysikoita, matemaatikoita ja tietojenkäsittelytieteilijöitä, jotka kilpailevat osittain samoista työpaikoista kemiantekniikan diplomi-insinöörien, teknillisten fyysikkojen, teknillisten matemaatikkojen ja tietotekniikan diplomi-insinöörien kanssa.
Lääketieteellinen
lääketieteen lisensiaatti (lääket. lis. ja LL) (ylempi korkeakoulututkinto)
lääketieteen tohtori (lääket. toht. ja LT) (tieteellinen jatkotutkinto)
Master of Science - Translational Medicine (ainoastaan Helsingin yliopistossa vuodesta 2010 eteenpäin)[11]
Lääketieteen tutkintoja voi suorittaa lääketieteellisissä tiedekunnissa Helsingissä, Turussa, Oulussa ja Tampereella sekä Itä-Suomen yliopiston terveystieteiden tiedekunnassa Kuopiossa.
Lääketieteen lisensiaatin tutkintoon (ylempi korkeakoulututkinto) vaaditaan 360 opintopisteen opintoja. Opinnot kestävät kuusi vuotta.[12]
Lääketieteessä ei ole alempaa korkeakoulututkintoa, vaan lääketieteen koulutusohjelma on Suomessa yksiportainen.[13][14] Lääketieteen opiskelija saa kuitenkin lääketieteen kandidaatin (lääket. kand. ja LK) arvonimen suoritettuaan tietyn määrän opintoja.[15][5]
Lääketieteen tohtorin tutkintoon (jatkotutkinto) vaaditaan väitöskirjaa ja jatko-opintoja (Helsingin yliopistossa 40 opintopistettä).[16] Tutkinto oli aiemmin nimeltään lääketieteen ja kirurgian tohtori (lääket. ja kir. toht. sekä LKT).
Puhekielessä lääkäristä käytetty nimitys tohtori ei välttämättä liity lääkärin oppiarvoon. Tohtorintutkinto ja väitöskirjan kirjoittaminen on lääketieteessä kuitenkin huomattavasti muita aloja yleisempää.
Maatalous-metsätieteellinen
Maatalous-metsätieteellisellä alalla voi Suomessa suorittaa seuraavat yliopistotutkinnot:
maatalous- ja metsätieteiden kandidaatti (maat. ja metsät. kand. ja MMK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
maatalous- ja metsätieteiden maisteri (maat. ja metsät. maist. ja MMM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
maatalous- ja metsätieteiden lisensiaatti (maat. ja metsät. lis. ja MML[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
maatalous- ja metsätieteiden tohtori (maat. ja metsät. toht. ja MMT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
elintarviketieteiden kandidaatti (elintarviket. kand. ja ETK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
elintarviketieteiden maisteri (elintarviket. maist. ja ETM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
elintarviketieteiden lisensiaatti (elintarviket. lis. ja ETL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
elintarviketieteiden tohtori (elintarviket. toht. ja ETT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Maatalous- ja metsätieteiden ylioppilas (maat. ja metsät. yo.) ja elintarviketieteiden ylioppilas (elintarviket. yo.) ovat alan opiskelijasta käytettyjä nimityksiä. Ne eivät siis ole varsinaisia tutkintoja.
Usein käytetään virheellistä nimitystä esimerkiksi maa- ja metsätaloustieteiden maisteri, mutta oikea kirjoitusasu on nimenomaan yllä mainittu maatalous- ja metsätieteiden maisteri. Vertailun vuoksi oikein on kirjoitettu maa- ja metsätalousministeriö, joka sekin lyhennetään MMM.
Agronomi (agron.) on arvonimi, jonka Helsingin yliopiston maatalous-metsätieteellinen tiedekunta voi myöntää anomuksesta opiskelijalle, joka on suorittanut maatalous- ja metsätieteiden kandidaatin tutkinnon tai vastaavat opinnot sekä maatalous- ja metsätieteiden maisterin tutkinnon jossakin seuraavista pääaineista: biotekniikka (kasvi- ja kotieläinbiotekniikan opintosuunnat), kasvintuotannon biologia, kotieläintiede, maaperä- ja ympäristötiede, maatalousekonomia, maatalous- ja ympäristöekonomia, markkinointi ja ympäristöekonomia. Agronomin arvon myöntämisen edellytyksenä on, että opiskelija on suorittanut maataloustieteiden opintoja vähintään 25 opintopistettä. Vaadittavista opinnoista päättää maatalous-metsätieteellisen tiedekunnan tiedekuntaneuvosto. Vastaavasti metsätieteellistä pääainetta (metsäekologia, metsäekonomia, metsävaratiede- ja teknologia ja puumarkkinatiede) lukeneet saavat käyttää metsänhoitajan (metsänhoit.) arvonimeä.
Aiemmin agronomitutkinto ja metsänhoitajatutkinto olivat virkatutkintoja, kun taas maatalous- ja metsätieteiden kandidaatin tai lisensiaatin tutkinto oli tieteellinen tutkinto. Maisterin arvo myönnettiin kandidaatille, joka promovoitiin promootiossa maisteriksi tai suoritti asianmukaisen leimaveron.
Tutkintoja myöntävät Helsingin yliopisto (maatalous-metsätieteellinen tiedekunta) sekä Itä-Suomen yliopisto (luonnontieteiden ja metsätieteiden tiedekunta). Näistä Itä-Suomen yliopistossa on mahdollista perehtyä ainoastaan metsätieteisiin. Maatalous-metsätieteelliselle alalle kuuluvaa elintarvikekemiaa voi Helsingin lisäksi opiskella Turun yliopiston matemaattis-luonnontieteellisessä tiedekunnassa biokemian ja elintarvikekemian laitoksella, mutta tämä koulutus johtaa luonnontieteellisen koulutusalan tutkintoihin. Ravitsemustiedettä voi puolestaan opiskella Helsingin yliopiston lisäksi Itä-Suomen yliopiston terveystieteiden tiedekunnassa, mutta siellä oppiaine kuuluu terveystieteelliselle koulutusalalle.
Musiikki
Musiikkialalla voi suorittaa seuraavat tutkinnot:
musiikin kandidaatti (mus. kand. ja MuK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
musiikin maisteri (mus. maist. ja MuM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
musiikin lisensiaatti (mus. lis. ja MuL[1]) (tieteellinen tai taiteellinen jatkotutkinto)
musiikin tohtori (mus. toht. ja MuT[1]) (tieteellinen tai taiteellinen jatkotutkinto)
Aiemmin oli musiikin kandidaatti ylemmän korkeakoulututkinnon nimi ja maisterin arvon saattoi erikseen ostaa. Alalla oli silloin myös alempi korkeakoulututkinto, nimeltään oopperalaulajan tutkinto. Vielä vanhempi ylemmän korkeakoulututkinnon tutkintonimike on Sibelius-Akatemian diplomitutkinto, esim. diplomiurkuri (lyh. dipl.urk ja DU).[17]
Musiikkialan tutkintoja myöntää Suomessa ainoastaan Taideyliopiston Sibelius-Akatemia.
Musiikkikasvatuksen pääainetta voi opiskella myös Jyväskylän ja Oulun yliopistoissa. Edellisessä tapauksessa tutkintonimikkeet ovat kuitenkin humanistiset ja jälkimmäisessä tapauksessa kasvatustieteelliset. Myös humanistissa tiedekunnissa opetettava musiikkitiede-oppiaine liittyy musiikkiin, mutta se keskittyy musiikin tutkimukseen, eikä se anna esimerkiksi pätevyyttä musiikinopettajan työhön.
Oikeustieteellinen
Oikeustieteellisellä koulutusalalla voi suorittaa seuraavat tutkinnot:
oikeusnotaari (ON) – alempi korkeakoulututkinto
oikeustieteen maisteri (oikeust. maist ja OTM) – ylempi korkeakoulututkinto
kansainvälisen ja vertailevan oikeustieteen maisteri (MICL) – ylempi korkeakoulututkinto[18]
oikeustieteen lisensiaatti (oikeust. lis. ja OTL[1]) – tieteellinen jatkotutkinto
oikeustieteen tohtori (oikeust. toht. ja OTT[1]) – tieteellinen jatkotutkinto.
Oikeusnotaarin tutkinto oli aiemmin nimeltään varanotaari (varan. ja VN) ja oikeustieteen maisterin tutkinnon nimi oli vuoteen 2005 asti oikeustieteen kandidaatti (oikeust. kand. tai OTK[1]). Kansainvälisen ja vertailevan oikeustieteen maisterin tutkinto, vaikka onkin ylempi korkeakoulututkinto, ei kelpuuta haltijaansa esimerkiksi käräjänotaarin tai -viskaalin virkaan (käräjäoikeuslaki (581/1993) 3a ja 4 §) taikka toimimaan oikeudenkäyntiasiamiehenä tai -avustajana (oikeudenkäymiskaari (4/1734) 15:2), eikä häntä myöskään voida hyväksyä asianajajaksi (laki asianajajista (496/1958) 3 §).
Oikeustieteen maisteri voi suorittaa vuoden kestävän tuomioistuinharjoittelun (auskultointi) ja saada varatuomarin (varat. ja VT) arvonimen. Auskultointimahdollisuus ei koske kansainvälisen ja vertailevan oikeustieteen tutkinnon (MICL) suorittaneita.
Oikeustieteellisen korkeakoulututkinnon voi Suomessa suorittaa seuraavissa yliopistoissa:
Helsingin yliopisto (myös MICL)
Lapin yliopisto
Turun yliopisto (myös MICL)
Åbo Akademi (vain alempi korkeakoulututkinto)
Itä-Suomen yliopisto (2013 alkaen[19])
Oikeustieteen ylioppilas (oik. yo. ja OTY) on alan opiskelijasta käytetty nimitys.
Historiallisia oikeustieteellisen tutkintoja
oikeustieteen kandidaatti (oikeust. kand ja OTK)
varanotaari (varan. ja VN)
lainopin kandidaatti (lainopin kand. ja LOK[1])
lakitiedetten kandidaatti
lakitiedetten lisensiaatti[20]
lakitieteen kandidaatti (lakitiet. kand. ja LaK[1])
lakitieteen lisensiaatti (lakitiet. lis. ja LaL[1])
lakitieteen tohtori (lakit. toht. ja LaT[1])
molempain oikeuksien kandidaatti (mol. oik. kand. ja MOK)
molempain oikeuksien lisensiaatti (mol. oik. lis. ja MOL)
molempain oikeuksien tohtori. (mol. oik. tri ja MOT)
"Molempain oikeuksien" oppiarvot olivat käytössä vuoteen 1922 asti. Nimitys viittasi roomalaiseen (maalliseen) ja kanoniseen (kirkolliseen) oikeuteen.
Vuonna 1894 määritteli, että Suomessa toimivalla virkamiehistöllä tuli olla jokin seuraavista lainopillisista virkatutkinnoista:
Oikeustutkinto
Ylempi hallintotutkinto
Alempi hallintotutkinto.
Tämä määräys lopetti vuosina 1871-1894 vaaditun ja lainopillisessa tiedekunnassa suoritettavan kameraalitutkinnon.[21] Näistä uusista tutkinnoista ylempi hallintotutkinto oli korkein, ja sen suorittamiseksi vaadittiin oikeustutkinto tai alempi hallintotutkinto, jonka lisäksi oli palveltu ministeriötä tai sitä vastaavan viraston tasolla.[22]
Psykologia
Psykologian alalla voi Suomessa suorittaa seuraavat yliopistotutkinnot:
psykologian kandidaatti (psykol. kand. ja PsK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
psykologian maisteri (psykol. maist. ja PsM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
psykologian lisensiaatti (psykol. lis. ja PsL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
psykologian tohtori (psykol. toht. ja PsT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Helsingin, Jyväskylän ja Turun yliopistoissa voi ylempänä korkeakoulututkintona suorittaa myös filosofian maisterin (fil. maist. ja FM) tutkinnon. Opetus on tällöin teoreettisempaa ja tutkintoon vaaditaan 120 opintopistettä psykologian maisterin 150 pisteen sijaan. Tämä tutkinto on suunnattu erityisesti lukion psykologian aineenopettajaksi tai tutkimusalalle suuntaaville.[3]
Psykologian ylioppilas (psykol. yo.) on alan opiskelijasta käytetty nimitys.
Psykologiaa voi pääaineena opiskella:
Helsingin yliopistossa
Itä-Suomen yliopistossa
Jyväskylän yliopistossa
Tampereen yliopistossa
Turun yliopistossa
Åbo Akademissa
Psykologian maisterin tutkinnon suorittanut voi hakea Valviralta laillistuksen, joka oikeuttaa harjoittamaan psykologin ammattia. Psykologia, psykiatria tai psykoterapeuttia ei tule sekoittaa toisiinsa. Psykologi on peruskoulutukseltaan psykologian maisteri. Psykiatri taas on psykiatriaan erikoistunut lääkäri, ja psykoterapeutti on puolestaan joko psykologi tai psykiatri tai muun soveltuvan ammatin harjoittaja, esimerkiksi sairaanhoitaja tai teologi, joka on suorittanut perustutkintonsa lisäksi psykoterapeuttikoulutuksen. Psykoterapeutin nimikesuojatun ammattinimikkeen käyttämisen edellytyksenä on yliopiston tai yliopiston yhdessä muun kouluttajaorganisaation kanssa järjestämä psykoterapeuttikoulutus.[23] Koulutuksen pituus on yleensä 3-4 vuotta.
Psykologian maisterin tutkinnon suorittaneilla on mahdollisuus hakeutua myös erikoispsykologikoulutuksiin, jotka ovat vuodesta 2016 alkaen yliopistollisia erikoistumiskoulutuksia.[24]
Psykologia esiintyy myös joidenkin muiden oppiaineiden nimissä, kuten sosiaalipsykologia, soveltava psykologia ja kasvatuspsykologia. Ne eivät kuitenkaan kuulu psykologian koulutusalaan, vaan esimerkiksi edellä mainituista kaksi ensimmäistä kuuluu yhteiskuntatieteelliseen ja jälkimmäinen kasvatustieteelliseen koulutusalaan.
Sotatieteellinen
Sotatieteelliset yliopistotutkinnot suoritetaan Suomessa Maanpuolustuskorkeakoulussa (MPKK). Tutkinnot ovat:
sotatieteiden kandidaatti (sotat. kand. ja SK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
sotatieteiden maisteri (sotat. maist. ja SM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
yleisesikuntaupseeri (ye.ups. ja YE) (tieteellinen jatkotutkinto)
sotatieteiden tohtori (sotat. toht. ja ST[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Pääsyvaatimuksena Maanpuolustuskorkeakouluun (MpKK) on yleinen korkeakoulukelpoisuus sekä varusmiespalveluksen aikana suoritettu johtajakoulutus (AUK tai RUK). Kouluun hyväksytyt AUK:n käyneet joutuvat suorittamaan lisäopintoja täydentääkseen tietonsa reserviupseereiden tasolle.
Sotatieteiden kandidaatin tutkinnon suorittanut nimitetään määräaikaiseen virkaan, joka kestää 3–4 vuotta (korkeintaan 10) sekä ylennetään luutnantin sotilasarvoon. 10 vuoden määräaikaisuutta voidaan jatkaa enintään viidellä vuodella. Työelämävaiheen jälkeen opiskelijat komennetaan suorittamaan palkallista maisterin tutkintoa ja ylennetään yliluutnantin sotilasarvoon. Sotatieteiden maisterin tutkinnon suorittanut nimitetään vakinaiseen virkaan yliluutnantin sotilasarvossa. Puolustusvoimien entinen komentaja kenraali Ari Puheloinen on tehnyt päätöksen, ettei yliluutnantin arvoa poisteta.[25] Kandidaatintutkintoa suorittavat opiskelijat palvelevat kadetin (kad.) palvelusarvolla. Kaikista tutkinnoista valmistuvia kutsutaan upseereiksi. Maisteriopinnoissa opiskellaan viran mukaisella sotilasarvolla. Noin kymmenen palvelusvuoden jälkeen upseeri komennetaan esiupseerikurssille, yleensä kapteenin tai kapteeniluutnantin sotilasarvossa, josta noin kolmasosa opiskellaan etäopiskeluna.
Yleisesikuntaupseerin tutkinto on sotatieteellinen jatkotutkinto, jonka laajuus on vähintään 140 opintopistettä ja jonka suorittaminen kestää noin kaksi vuotta. Uusimuotoinen tutkintomuoto astuu voimaan kesällä 2015. Hakijat valikoituivat valintakokeisiin esivalinnan ja soveltuvuuskokeen perusteella.
Sotilasarvo on tässä vaiheessa kapteeni (maa- ja ilmavoimat) tai kapteeniluutnantti (merivoimat). Tutkinnon jälkeen upseerit ylennetään majureiksi (maa- ja ilmavoimat) tai komentajakapteeneiksi (merivoimat). He saavat myös käyttää sotilasarvonsa edessä etuliitettä yleisesikunta-, esimerkiksi yleisesikuntamajuri. Ainoastaan yleisesikuntaupseerin tutkinnon suorittaneet voivat kohota kenraalikuntaan.[26]
Sotatieteiden tohtoriksi voi väitellä yleisesikuntaupseeri tai muun ylemmän korkeakoulututkinnon suorittanut. Sotatieteiden tohtorintutkinto on nuori, aiemmin ne upseerit, jotka halusivat väitellä tohtoriksi, tekivät sen siviiliyliopistossa. Sotatieteellisellä alalla ei ole lisensiaatintutkintoa, mutta yleisesikuntaupseerin tutkinnon suorittaminen antaa saman pätevyyden kuin lisensiaatintutkinto.
Taideteollinen
Taideteollisen alan yliopistotutkintoja voi Suomessa suorittaa Aalto-yliopiston taiteiden ja suunnittelun korkeakoulussa ja Lapin yliopistossa.
Taideteollisella alalla voi Suomessa suorittaa seuraavat yliopistotutkinnot:
taiteen kandidaatti (tait. kand. ja TaK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
taiteen maisteri (tait. maist. ja TaM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
taiteen lisensiaatti (tait. lis. ja TaL[1])
taiteen tohtori (tait. toht. ja TaT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto, johon voi liittyä myös taiteellisia osioita[27][28])
Lisensiaatintutkintojen myöntäminen lopetettiin Taideteollisessa korkeakoulussa vuonna 1999.[29] Näin ollen ainoa mahdollinen jatkotutkinto on taiteen tohtorin tutkinto, myös Lapin yliopistossa.[30]
Taideteollisen alan yliopistotutkinnon suorittaneet voivat toimia kuvataiteilijoina, taideteollisuuden suunnittelijoina, kuten graafisina suunnittelijoina, teollisina muotoilijoina tai taideaineiden opettajina. Osa toimii myös tutkijoina tai erilaisissa kulttuurialan virkamies- ja asiantuntijatehtävissä.
Taideteollisella alalla oleva kuvataidekasvatuksen koulutusohjelma antaa pätevyyden toimia muun muassa peruskoulun ja lukion kuvataiteen opettajana. Samanniminen oppiaine Jyväskylän yliopistossa (humanistinen koulutusala) ei nimestään huolimatta anna tätä pätevyyttä.
Teatteri ja tanssi
Teatterin ja tanssin alalla myönnetään seuraavia tutkintoja:
teatteritaiteen kandidaatti (teatt. kand. ja TeK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
teatteritaiteen maisteri (teatt. maist. ja TeM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
teatteritaiteen lisensiaatti (teatt. lis. ja TeL[1]) (tieteellinen tai taiteellinen jatkotutkinto)
teatteritaiteen tohtori (teatt. toht. ja TeT[1]) (tieteellinen tai taiteellinen jatkotutkinto)
tanssitaiteen kandidaatti (tanssit. kand.[1] ja TanssitK[31] ja TansK[32]) (alempi korkeakoulututkinto)
tanssitaiteen maisteri (tanssit. maist.[1] ja TanssitM tai TansM) (ylempi korkeakoulututkinto)
tanssitaiteen lisensiaatti (tanssit. lis.[1] tai TanssitL tai TansL) (tieteellinen tai taiteellinen jatkotutkinto)
tanssitaiteen tohtori (tanssit. toht.[1] tai TanssitT tai TansT) (tieteellinen tai taiteellinen jatkotutkinto)
Teatteritaiteen tutkintoja myöntävät Taideyliopiston Teatterikorkeakoulu Helsingissä sekä Tampereen yliopisto. Tanssitaiteen tutkintoja myöntää ainoastaan Teatterikorkeakoulu.
Teknillistieteellinen
Teknillistieteellisiä yliopistotutkintoja Suomessa ovat:
tekniikan kandidaatti (tekn. kand. ja TkK) (alempi korkeakoulututkinto)
diplomi-insinööri (dipl.ins. ja DI) (ylempi korkeakoulututkinto)
arkkitehti (arkkit.) (ylempi korkeakoulututkinto)
maisema-arkkitehti (ylempi korkeakoulututkinto)
tekniikan lisensiaatti (tekn. lis. ja TkL) (tieteellinen jatkotutkinto)
tekniikan tohtori (tekn. toht. ja TkT) (tieteellinen jatkotutkinto)
Tekniikan lisensiaatin ja tohtorin jatkotutkintoja ovat suorittaneet diplomi-insinöörien lisäksi myös monet pohjakoulutukseltaan luonnontieteellisen alan filosofian maisterit. Kaikissa tekniikan alan yliopistoissa voidaan suorittaa myös filosofian tohtorin tutkinto, mutta ei filosofian lisensiaatin tutkintoa.
Tekniikan ylioppilas (tekn. yo.) on diplomi-insinööriopiskelijasta käytetty nimitys. Se ei siis ole tutkinto. Arkkitehdiksi tai maisema-arkkitehdiksi opiskelevaa voidaan vastaavasti kutsua arkkitehtuurin ylioppilaaksi tai arkkitehtiylioppilaaksi (arkkit. yo.), mutta virallisissa asiakirjoissa heistäkin käytetään nimitystä tekniikan ylioppilas. Katso myös teekkari.
Historiallinen teknillistieteellisen korkeakoulututkinnon nimi on myös insinööri (ins.). Aikoinaan Teknillinen korkeakoulu oli Suomen ainoa tekniikan alan koulutusta antava oppilaitos, ja diplomi-etuliite tuli käyttöön vasta kun insinöörejä alettiin kouluttaa myös opistoasteella (nyk. ammattikorkeakoulu). Toinen jo 1930-luvulla pois jäänyt teknistieteellinen korkeakoulututkinto on maanmittari. Nykyään alalle valmistuu maanmittaustekniikan diplomi-insinöörejä.
Teknillisiä tieteitä voi opiskella Aalto-yliopiston teknillisessä korkeakoulussa, Tampereen teknillisessä yliopistossa, Lappeenrannan teknillisessä yliopistossa, Oulun yliopistossa, Turun yliopistossa, Vaasan yliopistossa sekä Åbo Akademissa.
Teologinen
Teologian alalla voi Suomessa suorittaa seuraavat yliopistotutkinnot:
teologian kandidaatti (teol. kand. ja TK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
teologian maisteri (teol. maist. ja TM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
teologian lisensiaatti (teol. lis. ja TL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
teologian tohtori (teol. toht. ja TT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Tietty määrä teologisia opintoja on vaatimuksena sekä Suomen evankelis-luterilaisen että ortodoksisen kirkon papin virkaan. Lisäksi opintojen sisällöstä on määrätty erikseen. Piispan virkaan ei ole korkeampaa koulutusvaatimusta, mutta lähes kaikki luterilaisen kirkon piispat ovat olleet teologian tohtoreita.
Teologian maisterin tutkinto pätevöittää myös uskonnonopettajaksi tai muihin yhteiskunnallisiin tehtäviin riippuen tutkintoon kuuluvista muista opinnoista.
Aiemmin ylemmän korkeakoulututkinnon nimi oli teologian kandidaatti, ja maisterin arvo oli erikseen ostettavissa. Alalla oli silloin myös alempi korkeakoulututkinto, nimeltään ortodoksisen kirkkokunnan kanttori. Nykyään kaikki entiset kandidaatit saavat automaattisesti käyttää nimitystä maisteri. Vielä vanhempia ylemmän teologisen tutkinnon historiallisia nimityksiä ovat teologinen erotutkinto ja sacri ministerii -tutkinto.
Teologian alan tutkintoja myöntävät Helsingin ja Itä-Suomen yliopistot sekä Åbo Akademi. Ortodoksisen teologian koulutusta annetaan Itä-Suomen yliopistossa.
Terveystieteellinen
Terveystieteissä voi Suomessa suorittaa seuraavat yliopistotutkinnot:
terveystieteiden kandidaatti (terveystiet. kand. ja TtK[1])
terveystieteiden maisteri (terveystiet. maist. ja TtM[1])
terveystieteiden lisensiaatti (terveystiet. lis. ja TtL[1])
terveystieteiden tohtori (terveystiet. toht. ja TtT[1])
Vanhemmat käytöstä poistuneet tutkintonimikkeet ovat:
terveydenhuollon kandidaatti (terveydenh. kand. ja THK[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
terveydenhuollon lisensiaatti (terveydenh. lis. ja THL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
terveydenhuollon tohtori (terveydenh. toht. ja THT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Terveydenhuollon kandidaatti saattoi tuolloin ostaa terveydenhuollon maisterin (terveydenh. maist. ja THM) arvon.
Terveystieteiden ylioppilas (aiemmin terveydenhuollon ylioppilas) on alan opiskelijasta käytetty nimitys. Se ei siis ole tutkinto.
Terveystieteitä voi opiskella:
Itä-Suomen yliopistossa
Jyväskylän yliopistossa
Oulun yliopistossa
Tampereen yliopistossa
Turun yliopistossa
Åbo Akademissa
Terveystieteiden opiskelijoilta vaaditaan yleisesti esimerkiksi ammattikorkeakoulututkinto (esimerkiksi hoitotieteessä).
Yhteiskuntatieteellinen
Yhteiskuntatieteellisen alan tutkinnoiksi lasketaan Suomen yliopistoissa seuraavat tutkinnot:
yhteiskuntatieteiden kandidaatti (yhteiskuntat. kand. ja YTK) (alempi korkeakoulututkinto)
yhteiskuntatieteiden maisteri (yhteiskuntat. maist. ja YTM) (ylempi korkeakoulututkinto)
yhteiskuntatieteiden lisensiaatti (yhteiskuntat. lis. ja YTL) (tieteellinen jatkotutkinto)
yhteiskuntatieteiden tohtori (yhteiskuntat. toht. ja YTT) (tieteellinen jatkotutkinto)
valtiotieteiden kandidaatti (valtiot. kand ja VTK) (alempi korkeakoulututkinto)
valtiotieteiden maisteri (valtiot. maist. ja VTM) (ylempi korkeakoulututkinto)
valtiotieteiden lisensiaatti (valtiot. lis. ja VTL) (tieteellinen jatkotutkinto)
valtiotieteiden tohtori (valtiot. toht. ja VTT) (tieteellinen jatkotutkinto)
hallintotieteiden kandidaatti (hallintot. kand. ja HTK tai HK[1]) (alempi korkeakoulututkinto)
hallintotieteiden maisteri (hallintot. maist. ja HTM tai HM[1]) (ylempi korkeakoulututkinto)
hallintotieteiden lisensiaatti (hallintot. lis. ja HTL tai HL[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
hallintotieteiden tohtori (hallintot. toht. ja HTT tai HT[1]) (tieteellinen jatkotutkinto)
Tutkintonimikkeen valinta on yliopistokohtainen ja samaa pääainetta lukenut voi periaatteessa valmistua millä tahansa kolmesta nimikkeestä. Tutkintoa vielä suorittamattomasta opiskelijasta voidaan käyttää nimitystä yhteiskuntatieteiden ylioppilas (yht. yo.), valtiotieteiden ylioppilas (valt. yo.) tai hallintotieteiden ylioppilas (hall. yo.).
Aiemmin olivat kandidaatin tutkinnot ylempiä korkeakoulututkintoja ja maisterin arvonimi myönnettiin sitä anoneelle ylemmän korkeakoulututkinnon suorittaneelle, jonka tuli maksaa arvonimestä leimavero. Hallintotieteiden kandidaatin vanhempi tutkintonimike on hallinto-opin kandidaatti (hallinto-opin kand. ja HOK[1]). Valtiotieteellisten tutkintojen nimessä on aiemmin ollut yksikkö, esimerkiksi valtiotieteen kandidaatti, mutta se on sittemmin muutettu monikkomuotoon.
Hallintotieteiden tutkintoja myöntävät Itä-Suomen yliopisto, Lapin yliopisto, Tampereen yliopisto sekä Vaasan yliopisto.[33] Henkilöt, joiden tutkinnon nimi alkaa sanalla valtiotieteiden, ovat opiskelleet joko Helsingin yliopistossa, Turun yliopistossa tai Åbo Akademissa.[33] Yhteiskuntatieteiden tutkintoja myöntävät Itä-Suomen, Jyväskylän, Lapin ja Tampereen yliopistot.
Suomalaisten ja yhdysvaltalaisten tutkintojen vastaavuudet
Seuraavat vastaavuudet ovat likimääräisiä:
kandidaatti (n. 3 v.): Bachelor: B.A., LL.B., ...
maisteri (n. 5-v.) maisteri: Master: M.A., LL.M., M.S., M.Sc., M.S.E., A.M., S.M., ... MBA, MHA, MPA, MAL, MBOL, ...
tohtori: PhD, D.Sc., D.Phil., ...
Katso myös
Luettelo yliopistotutkintojen lyhenteistä
Ammattikorkeakoulututkinnot
Lähteet
Aiheesta muualla
*
Luokka:Suomen koulutus
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Yliopistolliset%20tutkinnot%20Suomessa |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
489,
789,
980,
1089,
1506,
1835,
2153,
2347,
2867,
3090,
3705,
4190,
4548,
4918,
5318,
5944,
6096
],
"plaintext_end_byte": [
488,
788,
969,
1080,
1505,
1834,
2152,
2346,
2853,
3077,
3690,
4189,
4534,
4903,
5309,
5943,
6081,
6162
]
} | Apakah tujuan dibentuknya Pita Maha? | Pita Maha | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
652
],
"minimal_answers_end_byte": [
784
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Pita Maha adalah perkumpulan pelukis Bali yang didirikan pada 29 Januari 1936 oleh Cokorda Gede Agung Sukawati, I Gusti Nyoman Lempad, Walter Spies dan Rudolf Bonet. Perkumpulan ini menimbulkan gaya dan gerakan seni lukis Bali yang berbeda. Gerakan ini bermula di desa Ubud, dan kemudian menyebar ke daerah lainnya di Bali. Seni lukis ini berakar dari seni lukis klasik tradisional Bali, tetapi kemudian mendapatkan sentuhan seni lukis Barat, sehingga memiliki corak dan gaya tersendiri.
Gerakan ini kemudian dilanjutkan oleh generasi penerusnya sampai sekarang, salah satunya sebagai seni lukis gaya Ubud.[1] Tujuan awal dari gerakan seni ini adalah untuk menjaga standar mutu artistik yang tinggi dan untuk mencegah para seniman melakukan produksi massal terhadap karya seni mereka.[2]
Karya-karya seni bergaya Pita Maha masih dapat dijumpai di Museum Puri Lukisan Ratna Warta di Ubud, yang sampai sekarang memiliki koleksi sebanyak 227 lukisan dan 105 karya patung.
Asal kata
Pita Maha berasal dari bahasa Kawi yang mempunyai arti “grand ancestor(s)” atau nenek moyang.[3]
Sejarah
Pada tahun 1930-an, pulau Bali ramai oleh pelancong Eropa dan Amerika. Pelancong-pelancong ini kemudian membeli banyak karya seni asli Bali. Sebagai akibatnya, jumlah seniman dan pengrajin di Bali semakin banyak. Akan tetapi hal ini kemudian membuat karya seni Bali turun kualitasnya karena para seniman dan pengrajin tersebut hanya mengejar penjualan dan jalan mudah memproduksi karya seni, seperti imitasi picisan.
Seorang bangsawan Bali, Cokorda Gede Agung Sukawati berkerja sama dengan arsitek dan juru ukirnya, Gusti Nyoman Lempad, dan dengan bantuan rekanan pelukis mancanegaranya, Walter Spies dan Rudolf Bonet, berusaha memerangi penurunan mutu ini. Empat orang ini memprakarsai gerakan seni Pita Maha di Ubud pada tahun 29 Januari 1936.
Pertemuan mingguan dilakukan perkumpulan ini di rumah Walter Spies di Campuhan. Dalam enam tahun, anggota Pita Maha mencapai 150 pelukis, pengukir dan pematung. Di antara mereka bahkan datang dari desa yang jauh, seperti di Sanur. Namun, kebanyakan dari desa tetangga, seperti Nyuhkuning, Padang Tegal dan Pengosekan.
Para seniman diarahkan untuk menjelajahi tema-tema dan subjek-subjek baru dalam karyanya, khususnya yang sekuler, dan untuk memberikan ekspresi sepenuhnya untuk interprestasi pribadi mereka.[2]
Spies dan Bonnet hidup di tengah masyarakat Ubud di bawah naungan puri. Melalui dukungan dari Tjokorda Agung Sukawati, Bonnet dan Spies yang dianggap sebagai “guru” oleh seniman tradisional Bali, lebih mudah masuk dan diterima oleh seniman setempat. Karya Spies dan Bonnet kemudian dijadikan panutan sehingga memunculkan karya-karya turunan Spies dan Bonnet yang sampai saat ini banyak terlihat di daerah Ubud, Batuan, dan Sanur. Menciptakan gaya yang disebut Gaya Ubud, Gaya Batuan, dan Gaya Sanur.[3]
Perkembangan
Gerakan seni Pita Maha ini kemudian memunculkan pengembangan-pengembangan yang lebih khusus pada tiga daerah, yakni mazhab Ubud, mazhab Batuan dan mazhab Sanur.[3] Sumber lain juga menambahkan mazhab Keliki.[4]
Mazhab Ubud
Pengaruh Spies dan Bonnet tampak dalam pengolahan komposisi lukisan yang lebih dinamis, penggarapan perspektif, dan pengayaan warna. Dalam hal ini juga mulai diperkenalkan dengan bahan-bahan melukis yang didatangkan dari Belanda seperti tempera, cat air, dan cat minyak. Pengaruh tersebut terlihat dari mulai dikenalnya teknik chiaroscuro (gradasi gelap terang) khas Spies dan anatomi khas Bonnet. Seniman yang mengakrabi Gaya Ubud antara lain adalah I Gusti Nyoman Lempad, Anak Agung Gde Sobrat, Ida Bagus Made Poleng, I Gusti Ketut Kobot, I Dewa Putu Bedil, Ida Bagus Nadera, Ida Bagus Rai, dll.[3]
Mazhab Batuan
Para seniman di daerah Batuan, Ubud Selatan, merupakan seniman yang kebanyakan berasal dari keluarga brahmana. Kebanyakan pelukis dari Batuan dikenal menghasilkan karya bergaya pewayangan yang karyanya dapat dilihat di berbagai pura dan produk tekstil. Lukisan-lukisan tersebut juga tidak memiliki unsur budaya barat sama sekali layaknya lukisan di Ubud. Kebanyakan karakter lukisan Batuan bertema gelap, ramai, dan merepresentasikan kehidupan sehari-hari atau kejadian legendaris.[5]
Lukisan-lukisan gaya Batuan berciri khas suasana malam hari yang menakutkan ketika hantu-hantu dalam bentuk yang aneh, monster-monster binatang ganjil, penyihir-penyihir wanita, dan mayat-mayat penghisap darah mendekati orang. Seniman bergaya Batuan penting di ataranya adalah I Ngendon, Ida Bagus Togog, Ida Bagus Wija, I Tomblos, I Patera.[3]
Mazhab Sanur
Di Sanur muncul gaya lukisan yang terinspirasi oleh laut dan kehidupan sehari-hari juga gaya naïf dengan teknik lapis tinta Cina yang canggih. Sebanyak seniman yang menggambarkan kehidupan laut, makhluk-makhluk laut, kura-kura, kepiting, dan adegan-adegan mandi. Seniman yang menekuni Gaya Sanur antara lain adalah Ida Bagus Nyoman Rai, I Ketut Regig.[3]
Mazhab Keliki
Lukisan khas Keliki unik karena ukurannya kecil dan obyek detail. Sehingga memerlukan waktu lama membuatnya. Pertama kali dikembangkan oleh I Ketut Sana, petani setempat pada 1970-an. Biasanya mengambil tema gambar kehidupan sehari-hari masa itu seperti di pasar, sawah, mitologi cerita Hindu, dewa-dewi, dan lainnya. Pelukis-pelukis keliki di antaranya I Wayan Ariana, I Wayan Gama, dll.[6]
Polemik
Beberapa antropolog dan sejarawan seni mengkritik gerakan Pita Maha sebagai gerakan yang terlalu kolonialis dengan mempengaruhi warisan kesenian Bali yang sudah mapan dengan gagasan dan teknik artistik Barat.[2] Setelah penjajahan dan munculnya Pita Maha, pola-pola berkesenian di Bali mengalami perubahan. Terutama dalam penggunaan alat dan bahan melukis mulai menggunakan kanvas dan cat-cat yang berbahan dasar kimia, teknik-teknik baru seperti sfumato, chiaroscuro. Selain itu, mulai bergesernya orientasi dalam menciptakan karya seni yang juga digunakan untuk memenuhi permintaan pasar selain untuk kepentingan religi.[3]
Di sisi lain, pendapat lainnya memandang Pita Maha sebagai suatu gerakan yang krusial untuk melestarikan kesenian lokal yang terancam.[2]
Catatan kaki
Kategori:Seni Hindu
Kategori:Seni di Indonesia
Kategori:Seni lukis | https://id.wikipedia.org/wiki/Pita%20Maha |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
538,
1331,
2421,
4014,
6375,
10082,
11418,
14487,
17847,
19707,
20658,
22404,
27855,
31006,
35643,
41147,
43462,
47418,
54580,
57139,
58551,
62184,
64886,
67423,
69436,
72735,
75233,
78448,
79970
],
"plaintext_end_byte": [
537,
1330,
2271,
4013,
6344,
10081,
11355,
14486,
17785,
19706,
20499,
22377,
27762,
30973,
35571,
41101,
43357,
47354,
54470,
57138,
58550,
62126,
64885,
67377,
69395,
72704,
75232,
78447,
79925,
80271
]
} | Возле какой реки произошло Мианкальское восстание? | Мианкальское восстание 1821–1825 годов | russian | {
"passage_answer_candidate_index": [
11
],
"minimal_answers_start_byte": [
20871
],
"minimal_answers_end_byte": [
20887
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Мианкальское восстание 1821—1825 годов — крупнейшее в XIX веке восстание части узбекских племён и каракалпаков в Мианкальской долине, обусловленное неблагоприятной экономической ситуацией в Бухарском эмирате в правление эмира Хайдара, усугублявшейся сложной внешнеполитической обстановкой.
Непосредственной причиной волнений в Мианкале стали злоупотребления бухарских чиновников при сборе налогов. Основной движущей силой восстания, охватившего территорию между Бухарой и Самаркандом, был военно-политический союз китаев и кипчаков. Вспыхнувший стихийно крестьянский бунт с течением времени превратился в феодальную войну родоплеменной знати китай-кипчаков за политическую и экономическую независимость от Бухары.
Беспорядки в самом густонаселённом и экономически развитом регионе не только подорвали экономические устои Бухарского эмирата, но и привели к резкому упадку экономики самого восставшего района, что способствовало ускорению процесса оседлости обитавших в Мианкале полукочевых и кочевых племён. В ходе вооружённого противостояния ни одна из противоборствующих сторон не смогла добиться поставленных целей. Восстание завершилось заключением мирного договора, условия которого предполагали взаимные уступки.
Предпосылки восстания
Ситуация в аграрном секторе экономики Бухарского эмирата
В начале XIX века Бухарский эмират представлял собой слаборазвитое в экономическом отношении аграрное государство. Основой его экономики являлось сельское хозяйство, представленное в равной степени земледелием и скотоводством. Промышленное производство было неразвито. Товары различного назначения производились кустарным способом, либо импортировались. Участник русского посольства в Бухару капитан гвардейского генерального штаба Е. К. Мейендорф отмечал:
Во всей Бухарии нет ни одной большой фабрики; ни на одном заводе не работают одновременно более четырёх-пяти рабочих
Бесконечные феодальные войны во второй половине XVIII века способствовали упадку скотоводства, что в свою очередь влекло за собой высвобождение большой массы аграрных сил, переход которой к оседлому земледелию сдерживался отсутствием пригодного для этой деятельности земельного фонда.
В правление эмиров Шахмурада и Хайдара в стране были осуществлены значительные ирригационные работы, позволившие на некоторое время отсрочить назревавший аграрный кризис. Однако эти меры оказались недостаточными. Со своей стороны развитие ирригационного земледелия приводило к дальнейшему сокращению площадей пастбищ и, как следствие, усугублению аграрного кризиса. Хотя из двух с половиной миллионов жителей Бухарского эмирата один миллион всё ещё вёл кочевой образ жизни[1], тенденция была такова, что ко второй половине XIX века число безземельных крестьян составило в некоторых районах до 25 % от общего числа сельского населения[2]. Вся эта масса сельской бедноты вынуждена была наниматься батраками в хозяйства местных землевладельцев или работать на положении издольщиков, отдавая до половины урожая собственнику земли[1]. Резкое имущественное расслоение отмечалось и в тех регионах, где скотоводство продолжало играть доминирующую роль. Значительная часть кочевников не имела собственного скота и занималась главным образом выпасом чужих стад[1]. Переизбыток трудовых ресурсов вкупе с существовавшими механизмами закабаления свободных людей, к числу наиболее распространённых из которых следует отнести бунак[3], способствовали усилению феодального гнёта.
Налоговое бремя
Другим фактором, пагубно влиявшим на экономическую ситуацию в стране, являлось тяжёлое налоговое бремя. Фискальные элементы в Бухарском эмирате можно условно разделить на три основные категории: натуральные сборы, денежные сборы и всевозможные повинности. Налог, взимаемый с пользователей орошаемых земель, назывался харадж. Хараджная подать была либо постоянной и уплачивалась деньгами и некоторым количеством зерна с определенного участка земли (харадж-вазифа), либо устанавливалась пропорционально части урожая (харадж-мукасама) уполномоченным чиновником — амлякдаром. Размер хараджа в правление эмира Хайдара составлял от 1/8 до 1/5 урожая. Попутно с хараджем взимались особые налоги: кафсан — налог по содержанию амлякдаров в размере полпуда зерна и 15 фунтов хлопка с каждых 10 батманов, кафсани-даруга — такой же сбор в пользу даруги (начальника района), муштак (горсточка)— налог на содержание амина (старшины и сборщика налогов), аксакала (старосты) и прочих должностных лиц, контролировавших уплату подати. При этом муштак взимался вовсе не горстью зерна, а по стоимости чарьяка (около 2 килограммов) пшеницы и чарьяка джугары с каждого хозяйства[4]. Как следствие, при массовых злоупотреблениях чиновников всех уровней у крестьянина иногда зерна оставалось только на собственное пропитание и семена. Харадж, как правило, взимался с зерновых и масличных культур, а также с хлопчатника. С садов и огородов дехкане платили подати преимущественно в денежном выражении — танабанэ. Размер этого налога был индивидуален для каждой местности и зависел от многих факторов, например, от расстояния до базара. Вода для крестьян также не была бесплатной. Обхури — те люди, которые пользовались оросительной водой — должны были платить владельцу конкретного арыка (мирабу), а, следовательно, и собственнику воды специальную подать — мирабонэ[5]
. Обязанностью крестьян также было содержание всех лиц, отвечавших за ирригацию того или иного земледельческого района. С богарных земель земледельцы уплачивали десятину (ушр).
Основной формой налога среди кочевников-скотоводов был закят. Некогда предписанный шариатом как милостыня в пользу нищих и на богоугодные дела, закят со временем превратился в принудительный государственный налог на имущество. Он взимался как в денежном, так и в натуральном выражении. Подвластные бухарскому эмиру туркмены платили закят только скотом. При эмире Хайдаре закят формально был установлен в размере 1/40 (2,5 %) от поголовья скота или его стоимости, но фактически его сбор многократно превышал установленную норму. Сверх предписанного Кораном часто взимался ещё один вид закятных сборов, так называемый закят-чакана, шедший в пользу местного областного правителя (хакима или бека)[4].
Повинности и чрезвычайные налоги
Помимо указанных налогов в Бухарском эмирате существовало большое количество других поборов и пошлин, тяжёлым бременем ложившихся не только на трудовое крестьянство, но также на ремесленников, торговцев и иноверцев. Наряду с ними существовало и великое множество всевозможных повинностей, среди которых самыми обременительными были «джамалга» («дкамарга») — повинность по перевозке, приёму и содержанию чиновников, следующих по служебной необходимости; «конарга» — повинность по постою и кормлению проходящих войск, «улак» — подводно-перевозная повинность, и «мардикар» — бесплатные работы по очистке оросительных каналов, ремонту и строительству дорог, мостов, крепостных стен и тому подобное[6]. При эмире Хайдаре в условиях огромного дефицита государственного бюджета использование труда мардикаров приобрело особенно широкий размах. Эта натуральная повинность для подданных эмира была настолько обременительной, что люди, имевшие хоть какие-то денежные накопления, стремились откупиться от исполнения предписанных обязанностей. Уклонение от обязательных работ носило, по всей видимости, достаточно массовый характер, так как в нескольких письмах к своим чиновникам эмир строго наказывает денег с населения не брать и не срывать тем самым сроков выполнения работ. Так, например, в одном из писем Хайдар предписывает мобилизовать мардикаров из Ханабада, Кургашима, Янгикента, Гаджира и Хузара для ремонта крепости Гирджаб. Дав распоряжение, чтобы ремонт крепости был закончен до наступления зимы, эмир пишет:
Мы слышали, что у мусульман взимают много денег вместо мардикаров. Вы хорошенько проследите, чтобы ни один человек не брал никаких денег с населения
Помимо основной налоговой нагрузки население Бухарии несло на себе бремя чрезвычайных налогов и повинностей, связанных с войной. С момента восшествия на престол и до самой смерти эмиру Хайдару приходилось ежегодно предпринимать военные походы то против восставших племён, то против неспокойных соседей — Коканда, Хивы и Шахрисабза. Практически не прекращавшиеся войны пагубно отражались на благосостоянии государства. И без того разоряемое военными действиями население должно было ещё уплачивать и подворный чрезвычайный налог джуль для покрытия военных расходов. Размер джуля устанавливался лично эмиром отдельно для каждого племени или населённого пункта. Так, например, в 1802 году эмир Хайдар обложил население города Карши чрезвычайным налогом в размере 1500 , а его пригородов — в размере 300 ашрафи. Аймаки должны были внести в казну 1200 ашрафи, арабы — 300, каршинские узбеки племени курама — 220, община хаджаган — 500[5]. В 1809 году по случаю очередной войны правитель Бухарии разъяснял сборщикам чрезвычайного налога:
Да будет известно, что джуль от подданных Кермине исчисляется в 150 тиллей, джуль подданных окрестностей Панджшамба — в 150 тиллей, от подданных Катта-Кургана — 320 тиллей, джуль от джалаиров Панджшамба — 125 тиллей, от уч-урук — 400 тиллей, от подданных Янги-Кургана — 30 тиллей, от киргизов — 150 тиллей, от кунграт — 50 тиллей, от сарай — 50 тиллей, от олчин — 30 тиллей, от кирайт — 15 тиллей, от джет — 40 тиллей, от кермининских митан −10 тиллей, от минг — 8 тиллей, от дурман — 6 тиллей, от беркут — 100 тиллей, от уз — 2 тилли
К чрезвычайным налогам добавлялась также воинская повинность, предписывающая узбекским племенам во время войн выставлять определённое количество рекрутов для регулярной армии и ополчения (байбачча, карачирик, мерген, найзадаст, белдар, шагирд-пише и др.)[5].
Состояние государственной казны
Известно, что собираемость налогов в правление эмира Хайдара была достаточно высокой, но достигалось это самыми жестокими методами. Весьма широко применялись пытки и конфискации имущества. Налогоплательщики, несвоевременно уплачивавшие подати, дополнительно наказывались штрафом (яргу)[4]. Однако предпринимаемые правительством фискальные меры не могли в полной мере покрыть дефицит государственного бюджета, львиную долю расходов которого составляли военные затраты. По свидетельству историка Мухаммеда Якуба доходы эмира Хайдара превосходили более чем вдвое доходы его отца эмира Шахмурада, но в то же время его расходы превосходили больше чем в два раза его доходы[7]. Острая нехватка денежных средств заставляла эмира постоянно увеличивать размер налогов и взыскивать их методами, носившими характер массового ограбления населения. К жестокости при сборе налогов следует также добавить массовые злоупотребления бухарских чиновников, заботившихся не только о государственной казне, но и личной выгоде.
Неблагоприятные процессы в сельскохозяйственном секторе экономики Бухарского эмирата, непосильная фискальная нагрузка и тяготы, связанные с войнами, наиболее остро ощущались в Мианкальской долине, самой густонаселённой и экономически развитой области страны. Усиление феодального гнёта вызывало рост социальной напряжённости, а жестокость и злоупотребления правительственных чиновников переполнили чашу народного терпения.
Территория восстания и силы сторон
Характеристика территории, охваченной восстанием
Собственно Мианкаль — это остров длиной более 100 километров и шириной до 15 километров, образованный рукавами реки Зеравшан — Акдарьёй и Карадарьёй. В более широком смысле — это долина Зеравшана в его среднем течении. С развитием ирригации Мианкаль превратился в густонаселённый оазис, жители которого занимались поливным земледелием и скотоводством. К началу XIX века он стал главной житницей Бухарии. Урбанизация слабо коснулась этой местности. Городское население, представленное главным образом таджиками, было сосредоточено в нескольких крупных поселениях. Крупнейшим городом в долине Зеравшана и вторым по значимости в Бухарском эмирате был Самарканд с населением около 60 тысяч человек. В Каттакургане постоянно проживало до 25 тысяч. Остальные города, такие как Янгикурган и Челек, представляли собой небольшие, но хорошо укреплённые крепости, где располагались бухарские гарнизоны, контролировавшие окружающую местность[1].
Китай-кипчаки
Наиболее многочисленным племенем Мианкальской долины были тюркские племена китаев и кипчаков. Китаи (ктаи, кытаи, хытаи, хтаи), потомки древних киданей, пришли в долину Зеравшана в конце XV — начале XVI века вместе с Шейбани-ханом. Кипчаки переселились в эти места из бассейна Сыр-Дарьи в конце XVII — начале XVIII века[8]. За годы совместного сосуществования китаи и кипчаки образовали прочный военно-политический союз. Европейские исследователи начала XIX века, а также некоторые местные авторы этого времени даже причисляли их к одному племени — китай-кипчакам. По свидетельству российского учёного-востоковеда В. В. Радлова, посетившего Мианкальскую долину в 1868 году, сами представители этих племён на вопрос о том, к какому роду они принадлежат, отвечали: «Я из китай-кипчаков»[9]. Тем не менее, оба племени имели отличную родовую структуру, собственные боевые кличи (ураны) и хозяйственную деятельность вели раздельно[1]. Китаи занимали территорию от Кермине до Каттакургана. Кипчаки кочевали к востоку от них до самого Самарканда. Численность обоих племён разными авторами оценивалась по-разному. Мирза Шемс Бухарский доводит их число до 120 тысяч человек[10]. А. Д. Гребёнкин в своём исследовании называет цифру 70 тысяч человек, из которых около 45 тысяч составляют китаи и около 24 тысяч — кипчаки[2]. Первые документально подтверждённые сведения о численности племён относятся к 1924 году. В результате проведённого опроса населения было установлено, что китаев в Мианкальской долине в этот период проживало около 50 тысяч, а кипчаков — около 66 тысяч человек[11]. Объединившись в союз, оба племени смогли стать той силой, которая заставила бухарского эмира считаться с их интересами. Восстание китай-кипчаков было поддержано некоторыми родами других узбекских племён, в частности митанов, кенегессов, мингов, джалаиров, кыятов, а также жившими по соседству каракалпаками и городской беднотой Каттакургана и Ургута. Большая численность восставших позволяла им не только вступать в открытые сражения с бухарской армией, но и вести осаду Самарканда, а также предпринять поход в центральные районы эмирата. Кроме того восставшие пользовались внешнеполитической поддержкой со стороны враждебных бухарскому эмиру ханов Хивы и Коканда. Рассчитывая на военную помощь со стороны Умар-хана, китай-кипчаки выражали готовность перейти в его подданство. Лидеры племён даже получили от кокандского хана должности хакимов и парванчи[12], а сам Умар-хан стал именовать себя повелителем «всех узбеков Мианкаля Самаркандского»[1]. Однако кокандский хан уклонился от прямых военных действий против Бухары, предоставив в помощь восставшим лишь один военный отряд, численность которого, по всей видимости, была невелика. Следствием нерешительности Умар-хан стали тесные контакты китай-кипчаков с Мухаммадом Рахим-ханом хивинским. Имеются даже сведения о том, что действия войск хивинского хана и восставших на определённом этапе координировались[13].
Вооружённые силы бухарского эмира и его союзники
Войска бухарского хана в начале восстания несколько уступали по численности объединённым силам восставших, но могли противопоставить им относительно хорошую военную выучку, более совершенную организацию и лучшее вооружение. Регулярная армия эмирата состояла из двух родов войск — кавалерии и артиллерии. Е. К. Мейендорф, посетивший Бухару перед началом восстания, оценивал численность армии эмира Хайдара в 25000 человек, из которых в Бухаре в непосредственном распоряжении хана находилось до 13000 солдат, а остальные несли гарнизонную службу в Самарканде, Карши, Ура-Тюбе, Джизаке, Каракуле и других крепостях[14]. В случае необходимости эмир мог увеличить численность войск ещё на 60000 человек[14] за счёт всеобщей мобилизации, однако в условиях восстания части узбекских племён мобилизация не могла быть полной. Бухарские солдаты — сипахи — помимо традиционных длинных пик, сабель и луков были вооружены фитильными ружьями. Артиллерия эмира, начальником которой был попавший в плен к бухарцам капрал оренбургского гарнизона Андрей Родиков[15], состояла из дюжины устаревших персидских пушек без лафетов[14]. Опору эмира Хайдара составляло наиболее многочисленное и могущественное узбекское племя мангытов, к которому принадлежала и сама правящая династия. Неоценимую помощь Бухаре оказало племя найманов, лояльности которого бухарскому эмиру способствовали сами восставшие тем, что вели себя на его землях подобно завоевателям[16]. Причиной такого обращения китай-кипчаков с найманами, по всей видимости, являлись существовавшие территориальные споры между ними. На первом этапе военную поддержку эмиру Хайдару оказывал также правитель Ура-Тюбе Мухаммед Рахим диванбеги, носивший титул аталыка.
Начало восстания
Прологом к восстанию послужило распоряжение эмира Хайдара о наборе военного отряда среди китай-кипчаков для несения гарнизонной службы в Мерве, отданное в марте 1821 года. Приказ эмира касался зажиточных слоёв китай-кипчакского общества, поскольку рекруты должны были явиться на службу в полном вооружении и со своими лошадьми. Китай-кипчаки по сложившейся традиции попытались откупиться от службы, но эмир отказался принять деньги и приказал, чтобы все богатые (давлетманд) и почтенные (баабру) люди племени участвовали в походе лично[1]. Возглавить отряд должен был правитель Каттакургана Аяз-бий. Во что превратился некогда цветущий Мерв после бухарского завоевания хорошо видно из отчёта Е. К. Мейендорфа:
Эмир Хайдар содержит в Мерве гарнизон 400—500 человек, который обновляется три раза в год. Мерв считается местом ссылки, туда отправляют злоумышленников, которых не хотят наказывать смертью. В этом городе уже 500 жителей, не считая гарнизона, и окрестности его начинают снова возделывать. Лишь небольшое число оросительных каналов отведено из реки Мургаб, текущей в 20 верстах от Мерва и, вероятно, теряющейся в песках к северу от него
Неудивительно, что невозможность откупиться от повинности вызвало сильное раздражение китай-кипчакской знати. Однако ослушаться повеления эмира китай-кипчаки не решились. По всей видимости, расходы по сбору и содержанию отряда было решено покрыть за счёт внеурочного сбора поземельной подати. Очевидно, что Аяз-бий, отдавая распоряжение своему помощнику Мирза-хану начать сбор хараджа с подвластного населения ранее установленного срока[4], согласовал эти действия с правителем соседнего Янгикургана Шукур-беком, так как взимание подати началось в обоих вилайетах одновременно[17]. При этом действия чиновников сопровождались такой степенью жестокости, что вызвали осуждение даже со стороны видавших виды современников. Придворные историки эмира Хайдара Ибадулла и Мухаммед Шериф отмечали:
Мирза-хан явился к китай-кипчакам… Действуя жестокими средствами, Мирза-хан подвергал мучениям каждого, кто не уплачивал ему сразу хараджа. Он являлся на дом к тем, кто скрывался, и брал насильственно всё, что попадалось. Жестокость его не поддается описанию. Так же жестоко действовал и Мухаммед-Шукур-бек в Янги-Кургане
Не выдержав притеснений, крестьяне взялись за оружие и изгнали и частично перебили сборщиков податей, после чего явились к своим племенным вождям (сердарам) и буквально заставили[1] их начать вооружённую борьбу против бухарских властей.
Ход восстания
Первая осада Самарканда
Всеобщее восстание китай-кипчаков началось в заранее оговорённый срок[1]. В одну ночь восставшие захватили крепости Янгикурган, Лаиш и Челек. При этом в Янгикургане к ним в руки попали и Мухаммед Шукур-бек и его покровитель хаким Самарканда Давлет кушбеги со всем своим имуществом и приближёнными[17]. На следующий день, воспользовавшись отъездом Аяз-бия в Мерв, восстала городская беднота в Каттакургане. Горожане во главе с аксакалом (старостой) Сафар-бием впустили в город китай-кипчаков, в результате чего главный опорный пункт бухарского эмира в Мианкале оказался в руках восставших узбекских племён. Вскоре к восстанию присоединились и мианкальские каракалпаки. Они свергли бухарского ставленника и захватили крепость Чапар. Затем объединённые силы китай-кипчаков и каракалпаков осадили главный город региона — Самарканд. Однако случайно оказавшиеся руководителями восстания племенные вожди Мамур-бий из китаев и Адина-кул (Анна-кул) из кипчаков имели слабое представление о стратегии и тактике ведения войны. Вступая в поход на Самарканд, они не позаботились ни о самых примитивных осадных средствах, необходимых для штурма города, ни о должной защите уже захваченных крепостей. Столкнувшись с упорным сопротивлением бухарского гарнизона в Самарканде и не получив поддержки со стороны горожан, руководители восстания быстро поняли, что им необходим сведущий в военном деле предводитель. Они отправили гонца в Шахрисабз к опальному брату эмира Хайдара Мухаммеду Хусейн-хану. Тот с радостью принял предложение возглавить войско и скоро прибыл в лагерь восставших. Оттуда Хусейн-хан разослал письма к зеравшанским узбекам — найманам, джалаирам, митанам и мир-шикар[17][1]. Часть родов этих племён скоро влилась в ряды восставших, заметно увеличив их численность. Однако согласие в руководстве восстания было недолгим. Вскоре Хусейн-хан по не вполне понятным причинам вернулся в Шахрисабз[1]. Это обстоятельство заставило руководителей восстания обратиться за помощью к правителю кокандского ханства Умар-хану, который в это время осадил пограничный Джизак. Кокандский хан тепло встретил вождей китай-кипчаков, и, принимая их в подданство, назначил Адина-кула и Мамур-бия на должности хакимов (правителей) Мианкаля, а также возвёл обоих в чин парванчи. Однако вследствие неудачи при осаде Джизака и понесённых при этом больших потерь кокандцы не решились на прямое столкновение с Бухарой. Отпуская посольство китай-кипчаков, Умар-хан приставил к ним шахрисабзского бека Исхака-диванбеги, двоюродного брата эмира Хайдара[4], с небольшим воинским отрядом. Исхак-бек был провозглашён новым эмиром и принял на себя общее руководство восстанием[1][4]. Этим военная помощь восставшим узбекским племенам со стороны Коканда и ограничилась. Примечательно также, что вскоре после отъезда китай-кипчаков Умар-хан осыпал щедрыми дарами и отпустил высокопоставленного бухарского сановника Давлета кушбеги, которого хану выдали восставшие в знак признательности за покровительство[1].
Поход эмирзаде Насруллы
Тем временем военные просчёты руководителей восстания не остались без последствий. Ограбленные китай-кипчаками и городской беднотой зажиточные граждане Каттакургана составили заговор, и едва в Пейшамбе[18] прибыл эмирзаде Насрулла с карательным отрядом, они направили к нему своих эмиссаров[4]. Получив сведения о малой численности бунтовщиков в Каттакургане, Насрулла тотчас направился к городу, а каттакурганские заговорщики открыли ему городские ворота. Застигнутый врасплох гарнизон Каттакургана и поддержавшие восстание горожане пытались организовать сопротивление внутри крепости, но силы были слишком неравными. Лишь небольшой части китаев удалось прорваться в Янгикурган. Командир отряда китаев Миран-утачи со своими приближёнными и его сорок воинов сражались до последнего и пали в бою. Овладев Каттакурганом, эмирзаде Насрулла, впоследствии за чрезмерную жестокость получивший в народе прозвище «кассаб» (мясник)[4], жестоко расправился с бунтовщиками. Один из организаторов беспорядков Сафар-аксакал и несколько его приближённых были подвергнуты мучительной казни. Ещё до 700 человек были обезглавлены. Их тела были сброшены в крепостной ров, а головы на арбах отправлены в Бухару[1][17][19].
Усилия эмира Хайдара по подавлению восстания в Мианкале
Обрадованный известиями от сына, эмир Хайдар вскоре лично прибыл в Каттакурган со всей артиллерией. Но к этому времени встревоженные сведениями о взятии города бухарскими войсками китай-кипчаки уже сняли осаду Самарканда и вернулись в Мианкаль, чтобы защитить свои семьи и имущество. Численный перевес оказался на стороне восставших, и эмир двадцать пять дней оставался в Каттакургане[1], так и не решившись перейти Зеравшан. Тем временем основные силы восставших вступили в земли митанов «вводя в искушение весь народ»[17]. Часть митанских узбеков присоединилась к восстанию, но местная феодальная знать сохранила верность бухарскому эмиру. Особенно энергичное сопротивление бунтовщикам оказал Абдуррахман-бехадыр Митанский, сын Барат-бая, руководивший обороной крепости Митан. Он не только выдержал осаду, но и сделал несколько удачных вылазок, нанеся китай-кипчакам значительный урон[17]. Не сумев взять Митан, китай-кипчаки отступили вглубь своей территории. В скором времени их передовые отряды были вновь замечены близ Самарканда. Это известие заставило Хайдара покинуть Каттакурган и направиться на помощь самаркандскому гарнизону. По дороге, в местечке Чимбай (Чинбай), к войску эмира присоединился правитель Ура-Тюбе Мухаммад Рахим диванбеги с 3000 конных юзов[1]. Получив такое мощное подкрепление, эмир Хайдар после недолго пребывания в Самарканде отправился в поход на каракалпаков. В бою под стенами Чапара он разгромил войско Хаким-хана и взял крепость. Около пятисот попавших в плен каракалпакских воинов под страхом смерти вынуждены были встать под знамёна бухарского эмира[1]. От Чапара бухарская армия двинулась к Челеку и осадила крепость кипчаков, однако вскоре прибыл гонец из Бухары с тревожными сведениями о военных приготовлениях хивинского хана, поклявшегося отомстить бухарцам за гибель брата[20]. Спешно возвратившись в Самарканд, Хайдар назначил хакимом города своего старшего сына мир Хусейна[1] вместо неожиданно скончавшегося Давлета кушбеги, после чего направился в Бухару. Возвращение эмира в столицу оказалось своевременным, так как уже летом Мухаммад Рахим-хан хивинский осадил Чарджуй[1].
Начало войны с Хивинским ханством
Начало войны с Хивинским ханством поставило эмира Хайдара в очень сложное положение. Ему пришлось вести боевые действия одновременно на два фронта в условиях дефицита казны и ограниченности военных ресурсов. Поначалу ситуация не выглядела сложной. С приближением бухарских войск хивинский хан отказался от своих планов и снял осаду Чарджуя. Но пока эмир наводил порядок на западных границах страны, серьёзно осложнилась ситуация в восточных областях. Старший сын эмира Хусейн проявил полную «неспособность к управлению порученной ему областью»[21]. Сначала он уступил давлению аталык-бека, правителя Ура-Тюбе, требовавшего за оказанные Бухаре услуги передать под его контроль крепость Джизак, и тем навлёк на себя гнев отца. Результатом распри из-за Джизака стал разрыв союзнических отношений с правителем Ура-Тюбе[22]. Мухаммад Рахим позднее даже действовал заодно с восставшими, правда, исключительно в собственных интересах. Так, в 1824 году, стремясь расширить свои владения, он захватил бухарскую крепость Учма, но удержать её не смог. В том же году бухарские войска отбили крепость и снесли все укрепления[1]. Бездействие правитель Самарканда проявил и при появлении в бухарских пределах старого врага эмира Хайдара Катта-бека из мингов. Последний некогда управлял крепостью Магиян[23], являвшейся центром полунезависимого бекства. Когда же стремившийся положить конец сепаратизму узбекских феодалов эмир Хайдар вступил в пределы бекства, Катта-бек был вынужден бежать в Шахрисабз. Вскоре после начала восстания китай-кипчаков против власти Бухары он с сотней воинов явился к Ургуту, где имел сильную поддержку среди населения. С помощью горожан он разгромил бухарский гарнизон и прочно закрепился в городе[17]. Мир Хусейн со своей стороны не предпринял никаких действий против восставшего Ургута, предпочитая отсиживаться за стенами Самарканда. Неважно обстояли дела и в Каршинском вилайете. Воспользовавшись занятостью эмира на западе, предводитель шахрисабзских кенегесов Даньял-бек захватил три крепости в землях племени джиют и три мангытские крепости в долине Кашкадарьи. При этом в Ярты-тепе он посадил своего ставленника Шахмурада из племени сараев. В связи с набегами кенегесов эмир Хайдар вынужден был сначала отправиться в Карши. После трёхдневной осады бухарские войска взяли крепость Ярты-тепе[17]. Шахмураду удалось через горный проход бежать в Шахризабз и предупредить местного правителя Мухаммеда Садык-бека. Тот, опасаясь нападения бухарцев, отправил китай-кипчакам обоз с оружием, свинцом и порохом, а также письмо с призывом к активным действиям[17]. Получив помощь, Исхак-бек с китай-кипчаками тут же осадил Митан. Вышедшие на помощь осаждённым отряды муллы Бурхан-бия из Каттакургана и Торе-ходжи из Пейшамбе не успели соединиться. Отряд каттакурганского правителя попал в засаду и был разгромлен, а сам Бурхан-бий попал в плен. Торе-ходжа, будучи не в силах противостоять восставшим в одиночку, вернулся назад[17]. Получив плохие новости, эмир Хайдар оставил сына Насруллу в Карши собирать войска, а сам поспешил в Мианкаль и в ноябре 1821 года выступил против восставших племён. В двух сангах от Янгикургана произошло большое сражение бухарских войск с китай-кипчаками, которое по свидетельству историков эмира Хайдара длилось три дня. Потери сторон были велики: китай-кипчаки потеряли убитыми до 10 000 человек, бухарцы 5 000. Ни одна из сторон не смогла одержать решительной победы, но поле боя осталось за эмиром. Восставшие организованно отступили за укрепления Янгикургана, где всё было готово к длительной осаде. Мамур-бий, руководивший обороной, выбрал из своих воинов лучших стрелков, которые заняли позиции на стенах крепости и снайперскими выстрелами наносили осаждавшим большой урон. Попытки бухарцев взять крепость не увенчались успехом, и с наступлением холодов бухарские войска встали на зимние квартиры в Митане[17].
Создание антибухарской коалиции и вторая осада Самарканда
Тем временем старший сын эмира Хайдара Хусейн продолжал огорчать отца. Пользуясь его бездействием, Катта-бек захватил Джума-базар. Более того, он заложил небольшую крепость всего в 3-4 километрах от Самарканда, откуда постоянно угрожал городу[1]. Однако даже это обстоятельство не заставило наследника бухарского престола предпринять решительные действия. Бездействие Хусейна во многом способствовало созданию мощной антибухарской коалиции. Зимой 1822 года Адина-кул с четырёхтысячным отрядом из кипчаков и каракалпаков принимал участие в походе кокандского хана на Ура-Тюбе[1]. Там при содействии эмиссара из Шахрисабза он убеждал Умар-хана начать войну против бухарского эмира. Умар-хан не решился объявить войну Бухаре, но выделил в помощь восставшим крупный военный отряд под командованием Хушвакта-кушбеги и Арслан-бека-дадха. Численность этого отряда Мухаммед Якуб оценивал в 10 000 сабель[24]. В то же самое время Исхак-бек и Мамур-бий вели активные переговоры с правителем Хорезма Мухаммадом Рахим-ханом. Сведения о двух встречах хивинского хана с эмиссарами китай-кипчаков по пути в Чарджуй, а также визит Бури-бая, доверенного лица Мухаммада Рахим-хана, в Янгикурган не оставляют сомнений в том, что действия хивинских войск и восставших против Бухары узбекских племён координировались. Поэтому неудивительно, что осада Чарджуя и вторая осада Самарканда начались одновременно в мае 1822 года.
Вынужденный вести войну на два фронта, эмир Хайдар должен был разделить своё войско. Основная и наиболее боеспособная часть бухарской армии в количестве 6000 воинов вместе с пришедшими на помощь Бухаре отрядами из Андхоя, Балха и Гиссара под командованием эмирзаде Умара выдвинулась против хивинцев к крепости Фараб на Аму-Дарье[1]. Одновременно бухарские власти провели мобилизацию в районах Кермине и Хатырчи, а также среди найманов, гиссарских китаев и мианкальских смешанных племён, носивших название курама[1]. Ополчением руководил сам эмир Хайдар, но его боеспособность была невысока. Поэтому правитель Бухарии ограничивался лишь отражением набегов китай-кипчаков и защитой наиболее важных крепостей в районе восстания — Каттакургана, Митана, Хатырчи и Пейшамбе.
Тем временем кокандский отряд прибыл в Янгикурган, где его уже ждали Исхак-бек с вождями китай-кипчаков и присоединившийся к ним Катта-бек с мингами и наёмниками, набранными в предгорьях Кухистана. Из Янгикургана половина войска антибухарской коалиции двинулись к Самарканду, где к ним присоединился Даньял-бек с шахрисабзскими кенегесами. Благодаря активным действиям Катта-бека в районе Самарканда эмирзаде Хусейн не сумел подготовить город к обороне. Вскоре после начала осады среди самаркандцев начался страшный голод. Описывая бедствия горожан, авторы истории эмира Хайдара отмечали: «В городе наступал голод настолько сильный, что вдовы и бедняки за бесценок продавали детей своих, чтобы (достать кусок хлеба) и спасти свою жизнь»[17]. Мир Хусейн в отчаянии писал отцу:
Самарканд окружён с одной стороны китай-кипчаками, а с другой Катта-беком с войском Кухистана и Мухаммед-Садык-беком из Шахрисябза. Я нахожусь в растерянности и не знаю, против кого из них обороняться. Если вы не прибудете лично — случится нечто ужасное
Эмир уже собирался выступить на помощь старшему сыну, когда от мир Умара пришли ещё более тревожные известия. Царевич, встретив хивинский отряд недалеко от крепости Усты, проявил малодушие и бежал, даже не вступив в бой. Вслед за ним в панике бежало и всё бухарское войско. Из Каракуля эмирзаде Умар послал гонца к отцу с просьбой о помощи, после чего укрылся в Бухаре, куда уже потянулись толпы беженцев из западных областей Бухарии. Мухаммад Рахим-хан тем временем, практически не встречая никакого сопротивления, двинулся в центральные районы страны, опустошая всё на своём пути. Лишь упорство гарнизона Ромитана смогло задержать хивинского хана. Эмир бухарский с частью собранного им ополчения вынужден был выступить против хивинцев. Узнав о приближении бухарских войск, Мухаммад Рахим-хан, уже к этому времени чрезмерно отягощённый награбленным имуществом и пленниками, не стал искушать судьбу и ушёл за Аму-Дарью[17][1].
Распад антибухарской коалиции
С вторжением хивинцев в пределы страны эмир Хайдар оказался в очень тяжёлом положении. Однако его противники не сумели воспользоваться благоприятной для себя ситуацией. Состав антибухарской коалиции был чрезвычайно пёстр, а цели у различных её группировок иногда были диаметрально противоположными. По свидетельству летописца, уже через неделю после начала осады Самарканда среди осаждавших начались сильные распри, переходившие в вооружённые стычки. Переругавшиеся между собой лидеры коалиции, дабы избежать массового кровопролития, сняли осаду и разошлись каждый в свою сторону именно в тот момент, когда город уже готов был сдаться[25]. Не лучшим образом обстояли дела и у Исхак-бека. Воспользовавшись тем, что эмир Хайдар выступил против хивинцев, он с китаями Мамур-бия и присоединившимися к восстанию отрядами митанов, джалаиров и кыятов начал наступление в направлении Кермине. Восставшие осадили Пейшамбе и Хатырчи и дошли даже до Багче-каляна[26]. На пути бунтовщиков встали ополченцы, ядро которых составляли сохранившие верность бухарскому эмиру найманы. Они разгромили несколько отрядов восставших, после чего нанесли тяжёлое поражение и основным силам Исхак-бека, заставив последнего бежать с остатками войск в Янгикурган. В Мианкале Исхак-бек узнал о неудаче союзников под Самаркандом. Посчитав дело восставших проигранным, претендент на бухарский трон удалился в Коканд[1]. Возможно, его отъезд также был связан с известием о смерти Умар-хана кокандского.
С распадом антибухарской коалиции стратегическая инициатива перешла в руки бухарского эмира. Вынудив хивинские войска снять осаду Чарджуя и уйти в Хиву, эмир Хайдар поспешил в Митан. На этот раз вместе с бухарскими войсками в походе против восставших также принимали участие юзы под командованием Сейида-аталыка гиссарского, тестя эмира. Из Митана бухарская армия направилась к Янгикургану, а китай-кипчаки, узнав о приближении противника, вышли ему навстречу. Подробности сражения неизвестны, но по свидетельству современников оно носило настолько ожесточённый характер, что все «92 рода узбеков прикусили палец изумления»[27]. Поле боя вновь осталось за бухарцами, но разгромить силы восставших эмиру так и не удалось. Осадив китай-кипчаков в Янгикургане, бухарские войска пытались проломить стены крепости с помощью артиллерии, выпуская до 100 ядер ежедневно на протяжении двадцати семи дней. Взять Янгикурган эмиру так и не удалось. Тем не менее, после трёхдневной осады пала стратегически важная крепость Лаиш. Взяв её, эмир Хайдар получил форпост в самом центре мятежной территории как раз между двумя главными опорными пунктами восставших — Янгикурганом и Челеком. Последний скоро был осаждён бухарцами, но сумел выдержать двадцатидневную осаду. Не сумев подавить восстание, эмир разорил все окрестные территории, после чего направился в Самарканд[1].
Тактика выжженной земли
Сняв с должности хакима Самарканда своего старшего сына[1] и отправив его в Бухару, эмир Хайдар зимой 1823 года осадил Джума-базар и после трёхдневной осады взял крепость. Все её защитники по приказу эмира были казнены. От Джума-базара бухарские войска двинулись к Челеку. Три дня бухарская артиллерия обстреливала стены города, однако известия о появлении хивинских отрядов вблизи границ заставило эмира снять осаду и уйти в Бухару. Постоянные набеги хивинцев на протяжении двух лет не позволяли эмиру Хайдару проводить длительные военные операции в Мианкале, но ежегодно по два-три раза бухарские войска предпринимали походы в восставшие районы, уничтожая посевы, вытаптывая пастбища и угоняя скот[21]. Тактика выжженной земли принесла бухарскому эмиру гораздо больше выгод, чем все предыдущие неочевидные военные победы. К бедствиям китай-кипчаков добавилось также нашествие саранчи. Всё это, по свидетельству Мухаммада Якуба, довело восставших до крайней степени истощения[28]. Однако, не ожидая пощады от бухарских властей, они продолжали защищаться с упорством обречённых.
Завершение восстания
Смерть правителя Хорезма Мухаммада Рахим-хана развязала руки эмиру Хайдару, и весной 1825 года он решил положить конец беспорядкам в Мианкале. С большой армией он явился под стены Янгикургана, намереваясь взять крепость во что бы то ни стало. О твёрдости намерений эмира свидетельствует тот факт, что бухарцы выстроили рядом с Янгикурганом несколько своих крепостей, которые позволяли им обезопасить себя от вылазок китай-кипчаков и укрываться от непогоды. На этот раз осада длилась по разным данным от 70[29] до 90[30] дней. Когда в городе не осталось ни пищи, ни воды, китай-кипчаки предложили эмиру заключить мирный договор. Эмир Хайдар, уже потерявший к этому времени всякую надежду на успех военного предприятия, согласился с предложением бунтовщиков. Бухарские казии составили письменный документ (ахд-намэ), согласно которому китай-кипчаки должны были прекратить сопротивление и передать под контроль бухарских войск все удерживаемые ими крепости. В свою очередь эмир Хайдар предоставлял восставшим гарантии личной безопасности и неприкосновенности имущества. Двести наиболее уважаемых лиц из числа бухарской знати принесли присягу о соблюдении условий данного договора[1]. По требованию восставших бухарский чиновник Мирза-хан, из-за злоупотреблений и жестокости которого и вспыхнул бунт, был казнён[31][32]. Лидеры китай-кипчаков более других приобрели выгоды от восстания. Мамур-бий получил от эмира высокий титул бека[21]. Сердар кипчаков Адина-кул был пожалован чином дадаха[21] (по другим данным — токсаба)[1] и мельницей. После замирения эмира Хайдара с китай-кипчаками к его двору явился с повинной и Катта-бек. Мир с правителем Ургута был скреплён браком его дочери и царевича Насруллы[17]. После этого, по утверждению Мухаммеда мир Алима Бухарского, «эмир стал править спокойно»[21].
Итоги восстания
Мианкальское восстание является одним из наиболее значительных эпизодов в общей цепи стихийных восстаний, потрясавших Бухарию на протяжении всего периода существования государства[1]. Оно характеризовалось большим размахом и вовлечением в него широких крестьянских масс. Впервые в истории среднеазиатских народных волнений восставшими была предпринята попытка выйти за пределы узких территориальных рамок, в каких в тот исторический период замыкалась хозяйственная и политическая жизнь отдельных крестьянских общин, и вовлечь в восстание крестьянство соседних территорий, а также городское население[4]. Вследствие сохранявшейся родовой структуры узбекского общества восставшие народные массы не сумели выдвинуть на авансцену лидеров из своей среды и вынуждены были обращаться за помощью к своим племенным вождям. Но хотя явный народный характер восстание носило только на первоначальном этапе, дальнейшая многолетняя борьба узбекской родоплеменной знати против бухарских властей была бы немыслима без активной поддержки простого народа. О большой силе восстания свидетельствуют как открытые столкновения взбунтовавшихся племён с регулярными войсками, так и попытки взятия Самарканда. Причиной же общего неуспеха восстания являлось отсутствие чётких целей и противоречивость интересов отдельных участвовавших в движении социальных групп[1][4].
Четыре года восстания в самом развитом регионе тяжело сказались на экономике Бухарского эмирата. Прекращение налоговых поступлений из самого густонаселённого района страны привело к оскудению государственной казны[4]. Мухаммед Якуб отмечает, что в связи с восстанием в Мианкале расходы эмира ещё больше возросли, и он вынужден был прибегать к займам и сокращать денежное довольствие своим приближенным. Жалование бухарским чиновникам не выплачивалось по нескольку месяцев подряд, а мангытская знать, являвшаяся главной опорой эмира, в течение всего периода восстания должна была мириться с сокращением причитавшихся ей из казны денежных выплат[1]. Общий упадок экономики Бухарского эмирата в этот период более всего сказался на самом восставшем регионе. Постоянные военные действия и применяемая бухарскими властями тактика выжженной земли привели к массовому обнищанию проживавшего в Мианкале населения. Китай-кипчаки и каракалпаки за время восстания потеряли почти весь свой скот и вследствие крайней нужды в массовом порядке вынуждены были переходить к оседлому земледелию[1]. Следует также отметить, что восстание затронуло важные торговые пути, пролегавшие по территории между Бухарой и Самаркандом, в результате чего как внешняя, так и внутренняя торговля, приносившая немалый доход казне, была практически полностью парализована. Прекращение активной торговли в свою очередь повлекло замирание ремесленного производства. Экономическая слабость Бухары способствовала ослаблению её военной мощи, и как следствие, снижению её политического веса в регионе, особенно в глазах враждебных ей правителей Хивы, Коканда и Шахрисабза. Если до восстания бухарские эмиры не искали себе союзников[14], то при эмире Насрулле уже велась иная политика.
Разрешение конфликта между Бухарой и китай-кипчаками путём заключения мирного договора не принесло длительного мира в Мианкальскую долину, так как не устранило существовавшие между ними противоречия. Центральные власти не смогли в полной мере подавить сепаратистские настроения среди обитавших здесь узбекских племён. Китай-кипчаки со своей стороны не могли простить бухарским властям тех жестокостей с их стороны, которые предшествовали восстанию и сопровождали его подавление. В 1826 году после смерти эмира Хайдара мианкальские узбеки вновь взбунтовались против Бухары. Однако на этот раз они были преданы своей родоплеменной знатью, поддержавшей в борьбе сыновей Хайдара за престол Насруллу. Вследствие этого восстание не имело такого размаха, как несколько лет тому назад и быстро сошло на нет[1].
Примечания
Литература
Категория:Восстания в Узбекистане
Категория:Военные действия в Бухарском эмирате
Категория:Крестьянские восстания
Категория:1820-е годы
Категория:Восстания XIX века | https://ru.wikipedia.org/wiki/%D0%9C%D0%B8%D0%B0%D0%BD%D0%BA%D0%B0%D0%BB%D1%8C%D1%81%D0%BA%D0%BE%D0%B5%20%D0%B2%D0%BE%D1%81%D1%81%D1%82%D0%B0%D0%BD%D0%B8%D0%B5%201821%E2%80%931825%20%D0%B3%D0%BE%D0%B4%D0%BE%D0%B2 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
501,
947,
1000,
1067
],
"plaintext_end_byte": [
449,
946,
999,
1066,
1133
]
} | متى تأسست شركة إرماتشي الإيطالية؟ | إرماتشي | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
205
],
"minimal_answers_end_byte": [
209
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
إرماتشي هي شركة إيطالية سابقة، لصناعة الطائرات. وكانت تعرف سابقا باسم ايرونوتيكا إرماتشي ، تأسست الشركة في عام 1912 من قبل جوليو ماتشي، وتقع في فاريزي في شمال غرب لومباردي. مع مصنع يقع على ضفاف بحيرة فاريزي، وكانت الشركة تصنع أصلا الطائرات المائية.
التاريخ
انظر أيضا
[[]]
مراجع
تصنيف:تأسيسات سنة 1913 في إيطاليا
تصنيف:شركات تأسست سنة 1913
تصنيف:شركات صناعة طائرات في إيطاليا
تصنيف:علامات تجارية إيطالية
تصنيف:إرماتشي
تصنيف:إلينيا إرماتشي
تصنيف:فينميكانيكا
تصنيف:مصنعو دراجات نارية من إيطاليا
تصنيف:انحلالات سنة 2003 في إيطاليا
تصنيف:شركات سابقة في إيطاليا
تصنيف:شركات تصنيع مركبات تأسست في 1913
تصنيف:شركات تصنيع مركبات انحلت في 2003 | https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%A5%D8%B1%D9%85%D8%A7%D8%AA%D8%B4%D9%8A |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
291,
860,
1011,
1343,
1521,
1653,
1797,
1938,
2201,
2328,
2742,
2847,
3105,
3456,
3899,
4091,
4464,
4840,
5486,
5851,
5928,
6101,
6619,
7436,
7958,
8230,
8449,
8839,
9198,
10045,
10864,
11359,
12760,
13596,
14426,
15403,
17239,
18294,
18997,
20828,
21665,
23112,
23939,
25552,
27122,
29424,
30005,
30964,
31768,
33019,
34136,
35380,
37122,
37778,
39521,
41380,
43587,
44686,
46117,
48277,
51418,
53567,
54809,
56765,
58736,
60271,
60896,
61176,
61309,
61481,
61569,
61749,
61898,
62651,
63390,
64065,
64134,
64539,
64732,
64849,
64950,
65140,
65659,
66082,
66188,
66480,
66956,
68248,
69672,
70340,
70909,
72529,
73065,
77559,
77691,
77800
],
"plaintext_end_byte": [
290,
824,
995,
1329,
1520,
1631,
1760,
1901,
2179,
2306,
2710,
2825,
3104,
3455,
3898,
4090,
4463,
4839,
5485,
5850,
5927,
6100,
6618,
7435,
7944,
8210,
8424,
8826,
9160,
10044,
10863,
11358,
12759,
13595,
14425,
15402,
17238,
18293,
18996,
20827,
21664,
23111,
23938,
25551,
27121,
29423,
30004,
30963,
31767,
33018,
34135,
35379,
37121,
37777,
39520,
41379,
43586,
44685,
46116,
48276,
51417,
53566,
54808,
56764,
58718,
60259,
60868,
61175,
61308,
61480,
61568,
61732,
61864,
62609,
63356,
64062,
64133,
64538,
64731,
64848,
64911,
65139,
65617,
66081,
66187,
66479,
66955,
68247,
69647,
70339,
70908,
72528,
73047,
77499,
77669,
77782,
77834
]
} | هل القرآن من حافظ علي اللغة العربية ليومنا هذا ؟ | أدب عربي | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
الأدب العربي هو مجموع الأعمال المكتوبة باللغة العربية، ويشمل الأدب العربي النثر والشعر المكتوبين بالعربية وكذلك يشمل الأدب القصصي والرواية والمسرح والنقد.[1]
ظهر الأدب العربي في القرن 5 فقط مع أجزاء من اللغة المكتوبة التي ظهرت قبل ذلك. القرآن، يعتبر على نطاق واسع من قبل المسلمين أفضل عمل أدبي في اللغة العربية، سوف يكون لهُ أكبر تأثير دائم على الثقافة العربية وأدبها. ازدهر الأدب العربي خلال العصر الذهبي للإسلام، ولكنه ظل نابضا بالحياة حتى يومنا هذا.
أغراض الشعر العربي
أغراض الشعر العربي كثيرة نجد من بينها غرض الهجاء المدح الفخر الغزل الرثاء.
الهِجاء
كان الهجاء شائعاً بين الأعداء والأضداد من الناس وبين الشعراء وبعضهم البعض حيث يذكرون مساوئ بعض. وهنا أقدم بين يديك هذه الأبيات في الهجاء من العصر الجاهلي وهي لأوس بن حجر:
المديح
كان المديح للحكام والكبار والأعيان وكان يمنح الشاعر من المال على قدر جودة شعره واعجاب الممدوح به.
قـم للمعلـم وفّـه التبـجيــلا كـاد المعلم أن يـكون رســولا
- أحمد شوقي.
أنا الذي نظر الأعمى إلى أدبي وأسمعتْ كلمـاتـي من بـه صمـمً
- أبو الطيب المتنبي.
إذا رأيت نيـوب الليث بـارزة فـلا تظنن أن الليث يـبتـســم
- أبو الطيب المتنبي.
مـا أبـعد الغايـات إلا أننـي أجد الثبـات لكـم بـهن كفيـلا
- أحمد شوقي.
وإنمـا الأمـم الأخلاق مـا بقيـت فإن هم ذهبت أخلاقـهم ذهبــوا
- أحمد شوقي.
ولد الـهدى فالكائنـات ضيـاء و فم الزمــان تبسـم وثنــاءُ
- أحمد شوقي.
أيـا مـن بالوفـا قد عودونـي بـحق المصـطفـى لا تـهـجرونـي
- موال لرشيد غلام.
الأم مـدرسـة إذا أعـددتـهــا أعددت شـعـبــا طيـب الأعـراق
- حافظ إبراهيم.
ولا خيـر فـي ودّ امرىء متلـوّن إذا الريح مالت مال حيث تميل
- الإمام الشافعي.
ألذ الحب ما كان استراقا وأعذبه إذا شئت القليل
- منصر فلاح.
عرف الشاعر العربي الجاهلي المديح واتخذه وسيلة للتكسُّب، وكان للغساسنة في الشام والمناذرة في الحيرة دور كبير في حفز الشعراء على مديح أمرائهم.
ومن أشهر المداحين من شعراء الجاهلية:النابغة الذبياني الذي اشتهر بمدح النعمان بن المنذر، كما يقول أبو عمرو بن العلاء: (وكان النابغة يأكل ويشرب في آنية الفضة والذهب من عطايا النعمان وأبيه وجدّه.)
وقد مدح الشاعر الجاهلي بفضائل ثابتة كالشجاعة والكرم والحلم ورجاحة العقل ورفعة النسب، وكلها ترسم الصورة الخلقية المثلى للإنسان في رؤياه، كما كان يتخذ من المدح المبالغ فيه ـ باستثناء زهير بن أبي سُلمى مثلا ـ حافزًا للممدوح على المزيد من العطاء.
وكان يقدّم لقصائده في المديح بوصف الرحلة ومشاق الطريق وما أصاب ناقته من الجهد ليضمن مزيدًا من بذل ممدوحه.
وفي عصر صدر الإسلام، ظهر تيار جديد في المديح، هو مدح النبي محمد (صلى الله عليه وسلم).
ومن أوضح نماذجه لاميّة كعب بن زهير "بانت سعاد" التي أنشدها عند عفو النبي الكريم عنه، وصارت إلى عصور متأخرة نموذجًا يُحتذى.
كما زخرت قصائد حسّان بمديحه للنبي محمد أيضًا. وبذلك تحوّل المدح من التكسّب إلى التدين، واكتسب، فيما عبر به من الأوصاف، التجرد والصدق، بعيدًا عن التكسّب فضلاً عن رسم الصورة الإسلامية للفضائل والقيم الخلقية.
وفي العصر الأموي، امتزج المديح بالتيارات السياسية، بعضها يمالئ الأمويين، وبعضها الآخر يشايع فرقًا مختلفة، وكان مداحو الأمويين يتكسبون بمدائحهم، بينما تجرد شعراء الفرق المختلفة عن التكسب، بل اتخذوا من مدائحهم وسيلة للانتصار للمذهب ومحاربة خصومه، كما نجد في مديح عبيدالله بن قيس الرقيات لمصعب بن الزُّبير الذي يجسّد بشكل واضحٍ نظرية الزبيريين في الحكم.
وأما في العصر العباسي المتأخِّر فإن أجلى صور المدح، تتمثّل في مدائح المتنبي لسيف الدولة؛
إذ هي صادرة عن حب صادق، وإعجاب تام ببطولة سيف الدولة الذي يجسد حلم أبي الطيب بالبطل المخلِّص من اعتداءات الروم.
ومن هنا جاءت مدائحه تلك أشبه بملاحم رائعة.
وكذلك كان أبو تمام في مدائحه للمعتصم، وبائيته أشهر من أن نذكرها هنا. (السيف أصدق إنباء من الكتب)
وهنا نشير إلى حقيقة مهمة وهي أن المدح في الشعر العربي ـ وإن يكن للتكسب ـ لم يكن في كل الأحوال يعني التملق والبحث عن النفع، بل هو في كثير من الأحيان تجسيد للود الخالص والإعجاب العميق بين الشاعر والممدوح، وهذا مايتضح في مدائح المتنبي لسيف الدولة، فهي تجسيد حي لهذا المعنى الذي أشرنا إليه.
فقد كان المتنبي شديد الإعجاب بسيف الدولة ويرى فيه البطل العربي الذي طالما تاقت إليه نفسه، بقدر ما كان سيف الدولة عميق التقدير لأبي الطيب، ويرى فيه الشاعر العربي الفذ الذي طالما تطلعت إليه نفسه الذواقة للشعر، التواقة أبدًا للشاعر الذي يخلّد بطولاته.
مضى المدح في سائر العصور كما كان على نحو ما أوضحنا وإن تفاوتت فيه عناصر القوة والضعف، كما سجل لنا مدح الشعراء لبني أيوب، والمماليك، وبخاصة، بطولات هؤلاء الرجال في مقاومتهم للصليبيين والتتار والمغول.
يعد المدح في العصر الحديث على صورته القديمة، إذ رأينا الشاعر الحديث يرسم لنا صورة بطل قديم ـ مثلا ـ ليضعه أمامنا نموذجًا للبطولة، ولم يعد الشاعر نديمًا لذوي السلطان وأنيسًا في مجالسهم واقفًا شعره وولاءه عليهم، بل صارت الأنشودة الوطنية العاشقة للوطن بديلاً جديدًا للمدح التقليدي
الرثاء
كان الرثاء من أهم فنون الشعر العربي، بل انه يتصدرها بصدق الاحساس وعمق الشعور وحرارة التعبير، ومن أشهر شعراءه الخنساء ومن أجمل ما قالت فيه:
الاعتذار
وزعيمه المنشئ لأساسه هو النابغة الذبياني، وقد أثارته ظروف الشاعر مع الملك النعمان بن المنذر، ومنه قوله له:
الغزل
كان شعر الغزل مقبولاً ومحبوباً إلا أن التشبيب (أي ذكر اسم المحبوبة) كان غير مقبول. حيث كان الشاعر القديم يتغنى بمحاسن محبوبته شكلاً وموضوعا ويذكر لوعته وشوقه إليها. ومن أجمل ما قيل فيه قول ابن عبدربه الأندلسي:
الفخر
عادة أصيلة من عادات العرب وهو الفخر بالأنساب والأحساب والأصل والمنبت، رغم أنها محرمة دينياً، ومن أجمل أبيات الفخرالعربي بيت بشار بن برد الذي يفخر فيه بمضر مع أنه من المولدين:
الأدب العربي القديم
هو أقدم أدب حي. ترجع نشأته إلى أكثر من ستة عشر قرناً. نشأ في بادية "نجد" شعراً غنائياً في شكل سمي "القصيدة". ويعد امرؤ القيس الذي وصل بهذا الفن إلى ذروة شامخة، من تلاميذ مدرسة نجد. وظلت القصيدة الجاهلية النجدية في شكلها العام، حتى العصر الحديث، مثلاً أعلى يحتذى. لا نعرف الصور التي تصور المحاولات الأولى، ولكن مدرسة نجد ترجع إلى ماقبل القرن 4. وفي القرن 6، انتشر الشعر من نجد، وقلد في سائر أنحاء الجزيرة، وحمل خصائص محلية، ولكن سلطان المثل النجدي لم يضعف إلا بظهور الإسلام.
يختلف شكل القصيدة العربية عن شكل القصائد المعروف في الآداب الأخرى. وتمتاز بأن موضوعها، وهوالمديح، يمهد له بوصف الرحلة إلى الممدوح، ويقدم للرحلة بشعر في النسيب يشكو فيه الشاعر فراق الأحبة. وفي الرحلة يتاح للشاعر أن يصف جواده، أو ناقته، والطبيعة من حوله، وحياة الحيوان وصراعه مع غيره من الحيوانات أو مع الطبيعة. والمدح يتغنى بفضائل الصحراء ويصف حياة الكريم في ضيافته وشربه وحروبه. وأبيات القصيدة عادة من 60 إلى 100، وكلها تلتزم بحراً واحداً وقافية واحدة.
والمعلقات عشر أو سبع، هي خير مثال لهذا الشعر. ولاشك أن شعراء ضاع شعرهم سبقوا مدرسة نجد. وقد ساهم بلاط المناذرة وبلاط الغساسنة في تطوير القصيدة، ولكنهما لم يخلقا نوعاً جديداً إلى جوار القصيد النجدي. ولما كانت القصيدة تجمع موضوعات عدة فإنها كانت امتحاناً طيباً لقدرة الشاعر.
امتاز قصيد نجد، إلى جانب هذا الشكل العام والموضوعات المعينة، بخصائص ذاعت وقلدت، مثل التركيز في رسم الصورة، وتعميم الفكرة بحيث تصبح في يسر مثلا أو حكمة. وبينما كان وصف المرأة في النسيب عاماً مبهماً كان وصف الحيوان والصحراء واقعياً دقيقاً. ولأن الشاعر يلجأ إلى الصورة المركزة، أصبح محور النقد هو البيت الواحد. ولما كان الشعر لفترة طويلة غير مكتوب، يعتمد على السماع في الرواية، فإن الشاعر لم يستطع أن يركب الصورة أو أن يسرح بالخيال، اعتماداً على تذكر السامعين لأبياته السابقة. ومن هنا تحدد الشعر من حيث الموضوعات والصور، وأخذ يجول حول المعروف والمسلم به، واتخذ الشكل مكانة ممتازة، لأنه المجال الأكبر للتجديد والتنويع. وصلنا عن هذه الفترة بعض مقطوعات ورجز، في وصف الحروب والرثاء، ثم حماسيات يتغنى بها الصعاليك مثل: الشنفرى وتأبط شرا، وهجاء يمثل سلطة شيطان الشعر على الشاعر.
تركز اهتمام الشعراء حول الألفاظ، فاكتسب بعضها جمالاً وسحراً ولا توجد في هذه الفترة قصائد خالصة لموضوع واحد، إلا مقطعات قليلة في الخمر. أما الطرديات فمنعدمة، لأن وصف الصيد كان جزءاً من القصيدة العامة. أما شعراء الحضر في الجاهلية، فقد اختلف شعرهم قليلاً من حيث الموضوع والمعالجة، ولكن الذي بقي لنا منه قليل، أشهره شعر عدي بن زيد في الخمر، وشعر أمية بن أبي الصلت الديني. وليس هناك ما يقطع بعدم احتمال كتابته بعض الشعر قبل الإسلام، ولكن الواضح أنه لم يصلنا منه شيء.
يشير الفرزدق في شعره إلى ديوان مكتوب للبيد الشاعر. ولكن تدوين الشعر العربي بدأ في القرن 8 أي بعد تأليفه بأكثر من 200 أو 300 سنة، وهذا يفتح باباً كبيراً في صحة هذا الشعر من حيث حجة النص، ونسبته إلى شاعر معين. والنثر من هذه الناحية أوسع مجالاً للشك في صحته، ولكن هناك أدلة على أن تجويد النثر كان معروفا. فلقد وصلت حكم وأمثال تصور فن الإيجاز المتجلى في صناعة القصيد. وهناك إشارات إلى صحف مكتوبة في الجاهلية. وربما كانت بعض الأحكام القضائية تكتب للاطمئنان إلى تنفيذها.
وهناك نماذج من الخطابة وضلتنا تمتاز بالإطناب والسجع والمقابلة بين الفقرات المتساوية طولاً، وإذا كانت الفقرات التي أوردها الجاحظ في كتابه "البيان " تدل على مستوى هذا الفن، فإنه من العسير أن تطمئن اطمئناناً كاملاً إلى صحة نصوص هذه الخطب، فقد يصح بعض فقراتها ليس غير. أما المثل، وكان الأحق أن يكون بلهجة القبيلة المحلية لطبيعة وظيفته، فإن الاطمئنان إلى لفظه أعسر. وقد وصلت عن هذه الفترة أيضاً أحاجي وقصص حيوان، وقصص عن أيام العرب، نشك في نصها ونطمئن إلى وقائعها، وإلى فنية التركيب والبناء، وقد نطمئن إلى بعض فقراتها، وإلى الشعر الذي يحليها.
والاطمئنان إلى نصوص عن القبائل الجنوبية أعسر، حتى أنه يمكن الجزم بأن كل هذه النصوص خضعت لتغيرات كثيرة عند التدوين. وجاء القرآن الكريم بالفصحى، لغة قريش، التي سادت قبيل الإسلام، ولم يكن مشبهاً لأي نثر أو شعر قبله، وإن لم يخرج عن الإطار العام للذوق العربي. استعمل طريقة جديدة في القصص، وجاء بالحجج التي لم يألفها العرب في خطاباتهم ولا في قصصهم. ولأول مرة يرى العرب نثراً يخضع الشكل لمتطلبات المضمون، والمعنى على غير ما ألفوا في بيانهم، يستعمل السجع بفن ساحر، كما يكسب الفكرة قدرة على التأثير بذاتها دون أن ترتكز على الأسلوب.
وظل القرآن الكريم مثلاً أعلى بإعجازه يتحدى كل محاولات التقليد فكان أثره "خارج نطاق القصيدة" في المجال الأدبي يدور حول ما أيقظ من أفكار، وما أشاع من صور، لاحول الأسلوب بالمعنى الدقيق. وكان للقرآن الكريم الفضل في تخلص الخطباء - فيما عدا علي بن أبي طالب والخوارج والأولين منهم من سجع الجاهلية، واتجاههم نحو الاهتمام بالموضوع والفكرة. كذلك أثر في اتجاهات الخطباء من الحكام والخلفاء واتجاهات الكتاب والوزراء، في سائلهم وتوقيعاتهم، حين نشأت الكتابة أيام سليمان بن عبد الملك وعمر بن عبد العزيز.
في العصر الإسلامي بدأ الشعر يصور التغير الاقتصادي والاجتماعي، الذي نشأ من انتشار الدعوة المحمدية وتكوين الدولة الإسلامية، ففقد الهجاء مركزه الجاهلي، وإذا هو في صورة جديدة، هي المناقضة بين الشعراء أو طوائف منهم.
والحماسة تكتسي بالوان الاستشهاد الديني، وخاصة عند الخوارج. والغزل ينفرد بقصائد كاملة في بعض المدن الزاهرة في الحجاز، فيرق أسلوبه باللهجة الحجازية، وبسبب شيوع فن الغناء وتأليف الشعر الغزلي الذي يقصد التغني به. وغزل الحجاز نوعان: نوع قصصي واقعي مرح، يمثله عمر بن أبي ربيعة في مكة، وآخر عذري رمزي حزين محروم، عند الشعراء العذريين في المدينة، مثل جميل والأحوص والمجنون.
في هذه الفترة يظهر الشعر السياسي، ويتطور الرجز – من مجرد شعر حماسي لاستثارة المحاربين – إلى ميدان استعراض البراعة اللغوية عند "العجاج"، ويصبح الشعر – دون أن يفقد رونقه ولا فنيته – أكثر التصاقاً بحياة الجماعة، مؤدياً لوظيفته الاجتماعية. وهنا يتوافق الشكل مع المضمون، وتعود القصيدة العربية – بعد توقف قصير المدى في أثناء الفتوح- إلى قوتها، وقد تخلصت من كثير من جمود الموضوع في الجاهلية.
نمت القصيدة في العراق والجزيرة، وحمل لواء الشعر في هذه المنطقة جرير والفرزدق والأخطل وذو الرمة، وكان الأخطل أكثرهم تمثيلاً وتنفيذاً للشكل الجاهلي، في شعر الفخر ومدح الأمويين. وصور الفرزدق وجرير فجاجة الحياة البدوية واستعملا الشعر للوصول إلى الثراء، وطورا موضوع القصيدة، وأدخلا فيها تفصيلات من الخلافات السياسية والقبلية، وانتعشت النقائض على أيديهما، وأساسها المفاخرة والهجاء، وركزا مقدرتهما على إبراز معارفهما اللغوية، لإثارة إعجاب مدرسة النقادر اللغويين التي تكونت في هذه الفترة من جامعي اللغة والشعر القديم. وشعر ذو الرمة أمعن في استعراض اللغة، وأجمل في وصف الصحراء تلهب صوره الغزل أحياناً.
وبينما كان الشعر الجاهلي يمثل العاطفية والمحدودية، والمستوى الخلقي السامي، كان الشعر الأموي يمثل تضارب القوى، وتصارع المثل في الحياة الجديدة، وخلافات الأحزاب على الخلافة والحكم. وفيما عدا الغزل الذي ظل في مستواه المثالي، فإن الموضوعات الأخرى تنزل إلى مستوى الحياة اليومية. وبالرغم من التمثل بكثير من آيات القرآن، فإن الاتجاه الخلقي يضعف. وقد غص الشعر بما يعجب الجماهير المحتشدة لمشاهدة مباريات النقائض.
جمعت دواوين شعراء هذا العصر، إما في حياتهم أو مباشرة بعد مماتهم. وشعر هذا العصر أكثر الشعر العربي القديم صحة، من حيث النص أو نسبته إلى الشاعر. أما شعر العصر العباسي - الذي تبدأ خصائصه في الظهور منذ أواخر العصر الأموي (منتصف القرن 8) – فإنه يمتاز بأنه شعر حضري وبأنه قد ساهم فيه لأول مرة شعراء ليسوا عرباً خلصاء، وكان فحوله من الموالي. وقد أثرت هذه الظاهرة الأخيرة في النثر أكثر من الشعر. وظل الوزن والشكل دون تغيير. وحصر بحور الشعر الخليل بن أحمد (791)، فتجمدت منذ ذاك.
لكن اللغة رقت عن لغة البادية، مع احتفاظ تام بالمستوى الفصيح. ولما أوى الشعر إلى بلاط الخلفاء، الذين رعوا الشعر والشعراء، اتخذت القصيدة شكلاً رسمياً مسجلاً، وأصبح هذا الشكل وحده مجال تنافس الشعراء بسبب تمسك الخلفاء بثقافتهم العربية، وبسبب ميل فطري في العرب عامة إلى المحافظة على القديم، ولهذا أصبح مجال التجديد نسبياً. ولكن بالرغم من صرامة الشكل والموضوع، فقد حدث في المعالجة التفصيلية للموضوعات التقليدية، تغيرات تنوع المدح والهجاء، ولكن الغزل كان أطوع في التجديد، فلقد حمل آثار الحجاز في الرقة والغنائية إلى سوريا، حيث تطور على يد الخليفة الوليد بن يزيد (744)، وعندما اختلط بشعر الخمر ووصف مجالس الشراب جاء إلى العراق مع مطيع ابن اياس، ليجد مجالات للتطور في مجالس المجون في البصرة وبغداد، حتى في قصور الخلفاء، وذخر بالصور الجديدة، والروح الماجن الساخر، والحوادث الوقعية البعيدة عما ألف العرب.
باحتكاك الثقافة العربية في هذا العصر بتراث الفرس والآراميين الحضاري، نشأ جو فكري حديث أثر في الشعر والنثر، فصورا أفكاراً جريئة، وواقعاً طلقاً متحرراً وإن كان متحللاً خلقياً أحياناً. وظل الشعر الشيعي تقليدياً، وأخرج العراق بفضل ميله إلى الشعر الخلقي والتعليمي – بشر بن المعتم وأبا العتاهية - وجاء العباس بن الأحنف (807) بغزل الفروسية القصير، فجدد في الشكل والصورة كما أدخل أبان بن عبد الحميد اللاحقي (815)م. نوعاً من الرجز، هو المزدوج بشعره التعليمي والقصصي.
شعر هذه الفترة غزير كثير مجدد في داخل الإطار التقليدي الثابت. وفي هذه الفترة دخلت الصنعة الشعر، فإن العقل الحضري لم يستطع أن يعوض الشعر عن بداوة العاطفة وصدقها وسموها، فبدأ الجهد يبذل في انتقاء التشبيهات وتوليدها، والتأنق في صور التعبير، فظهر المذهب البديعي حين فشا البديع في شعر الشعراء. وبدأ هذه الحركة بشار بن برد (744)، وهو أول شاعر فحل غير عربي خالص. وينسب إلى مسلم بن الوليد (من الجيل اللاحق لبشار) أنه أول من أفسد الشعر بالبديع. وإن امتدح بعض النقاد مذهبه والواقع أنه أكثر بشكل ملحوظ من استعمال المحسنات البديعية، حتى أصبحت أبرز سمات شعره. والعجيب أن معاصره أبا نواس (803) الذي كان أغزر شعراء العربية إنتاجاً وحيوية وتنوعاً في الموضوعات، لم يتجه إلى الإسراف في البديع مثله. وأحيا أبو نواس الطرديات وروج للخمريات، وتغزل في فحش في الغلمان والنساء. وأخذت الثقافة اللغوية التي ذاعت لدى شعراء هذا العصر تجني على الشعر والذوق، فهبط المستوى الفني وبعد عن الطبيعة والعاطفة وعمت الصنعة في البديع.
بالرغم من شيوع الكتابة نسبياً فإن شعر هؤلاء الشعراء أهمل، بسبب عدم حاجة اللغويين إليه في عملية جمع اللغة، واعتبارهم أنه غير موثوق بسلامة لغته لحداثته. وإلى توقيعات الوزراء أو الكتاب، ترجع بذور المقالات الأدبية. وأول من طوع أسلوب الخطابة القديم ليدل على حاجات العصر هو عبد الحميد الكاتب (750) ولم يكمل هذا التطويع إلا عن طريق الترجمة، وهذا ما يحدث في كل اللغات. وبفضل ابن المقفع (757) الذي ترجم عن الأدب البهلوي المزدهر في بلاط الساسانيين، وبفضل من جاؤوا بعده، ذلل النثر العربي. ولا يقلل التغيير الذي أصاب نثر ابن المقفع في التدوين شيئاً من هذه الحقيقة. وهذا الأدب المترجم كان تعليمياً وعظياً، يبين للطوائف الحاكمة المختلفة دورها في المجتمع وآداب مهنتها، في صورة حكم وأمثال وقصص قصار، وسمي هذا كله "أدباً" فنجد أدب الكتاب وأدب الملوك... إلخ، أما القصص الفني، فقد بدأ لدى جامعي الأخبار وسير الغزوات على نحو ما فعل ابن إسحاق في سيرة النبي. كذلك وصلت بعض قصص العشاق في شكل فني.
تأثر النثر الكلامي (الفلسفي) بما ترجم من منطق اليونان. وأثر في النثر نشاط اللغويين الذين دأبوا على جمع مادة اللغة الفصحى السليمة، بدافع ديني وقومي، ليحموها من تحريف الموالي ومن انحدارهم بها إلى مجرد أداة للتعبير عن شؤون الدولة في الإدارة والقضاء. وبذلك نشط جمع التراث، ليصبح أساساً لكل العلوم الإنسانية. وبدأ تأليف كتب ضبط اللغة وقواعدها، فألف الخليل "العين" (791) وألف سيبويه (796) "الكتاب"، كما ألف أبو عبيدة (825)، والأصمعي (831). وفي هذا العصر جمع التاريخ. وألف في الفقه الحنفي في العراق (أبو يوسف – 898) والمالكي في المدينة "موطأ" مالك بن أنس (795). ألف الشافعي بعدهما "الأم"، وهو أساس تشريع السنة. وفي فجر القرن 3 كان نثر الدراسات التاريخية والدينية ينافس النثر الفني لكتاب الدواوين. وجاء الجاحظ (769) أبو النثر الحديث برسائله ومؤلفاته العديدة في شتى أبواب المعرفة ليصل بهذه المعلومات، بنثره الممتاز وشخصيته القوية، إلى مستوى عامة المثقفين. ولم تحل مشكلة المواءمة بين نثر العلوم ونثر الكتاب إلا بعد الجاحظ. ونتج عن ذلك استقلال الشعر بالميدان الخيالي البحت، وبعده عن واقع الحياة، وفقد النثر شيئاً من روائه ورونقه وأخذ يعبر عن حياة المجتمع. وللجاحظ فضل اشاعة أثر الثقافة اليونانية التي احتضنها المأمون، وأنشأ لها "بيت الحكمة" لنقلها إلى العربية، وفي منتصف القرن 9 دخل الورق المصنوع في الشرق الأقصى إلى الدولة، فسهل الاتصال بين مراكز الثقافة فيها، من سمرقند، إلى القيروان، إلى الأندلس.
قاوم النثر القديم الشعوبية في الأدب، حتى جاء ابن قتيبة (889) فأوجد الحل في مزج الثقافة العربية بكل ما أثر عن ثقافة الفرس. وذاعت الرسائل والأعمال الأدبية التي تصور التقاء الثقافات الثلاث: العربية، الهيلينية، والفارسية، وظهرت الفلسفة العربية الجديدة، بفضل الترجمات التي قام بها ابن لوقا (835) وحنين بن إسحق (873) وابنه إسحق (910).
توالى عظماء الفلاسفة المسلمين: الكندي (850) والفارابي (950) وابن سينا (1037)، كما ظهر التأليف في الرياضة والفلك والطب، وإن يكن هذا النثر علمياً، فإنه بأفكاره وأساليبه أثر في تطور النثر الفني. وفي الجغرافيا، كان التأليف ألصق بالفن الأدبي، وظهرت كتب عن مغامرات البحار والعجائب، مقتبسة أو معربة. ووجدت "المكتبة الجغرافية" وأشهر من ألفوا كتبها: الخوارزمي (844) وابن خرداذبة (844). ولمقاومة أثر الفلسفة اليونانية عند المعتزلة، نشط التأليف الفقهي، وخرجت كتب الحديث: البخاري، ومسلم والترمذي، وابن داود، ومحمد بن ماجة والنسائي، ثم "مسند" ابن حنبل.
نشط الشيعة، كرد فعل لهذه الحركة. وجمع فقهاء الإسماعيلية والأمامية طائفة من "الحديث". ويرى أثر الثقافة اليونانية والفلسفة في الفكر الديني الإسلامي وخاصة أثر الأفلاطونية الحديثة في "رسائل إخوان الصفا". كذلك ألفت كتب في المقارنة بين الأديان. وألف ابن حزم (1064) كتابه "الفصل" ليؤرخ الدين لدى عامة الشعوب. ولم يتأثر الدين الإسلامي عند عامة الشعب إلا بحركة التصوف التي قامت على فكرة الزهد العربية، مع بعض بقايا تعاليم وحركات دينية قديمة في منطقة سوريا.
ظهرت رسائل علمية في التصوف خالصة للحلاج، ولذي النون، وللنفاري. وظهر الشعر الصوفي الممتاز الذي ظل منتعشاً لعدة قرون. وبانتشار التأليف العلمي تطور النثر، واستطاع أن يدل على معان دقيقة فلسفية. ولكن ذلك لم يؤثر في عامة المثقفين. وظل الأثر الهليني في العلوم والفلسفة بعيداً عن متناول أكثر الكتاب، ومن القلة التي تأثرت بهذا النثر الجديد، وبالأفكار الفلسفية، فيما ألفت من أدب: السرخسي (889) والتوحيدي (1023)، وابن مسكوية (1030). ولكن التيار العام. بعد ابن قتيبة في التأليف الأدبي، ينحو نحو جمع المجموعات المختلفة المتعددة الموضوعات. ويمثل هذا التيار: ابن المعتز (908)، وابن أبي الدنيا (894)، وابن عبد ربه (940)، والصولي (946)، وأهمهم أبو الفرج الأصفهاني (967) صاحب الأغاني، وكذلك مجموعات التنوخي (994)، والثعالبي (1038).
حددت هذه المجاميع ميدان الفكر لدى الأدباء منذ ذاعت بينهم، وقصرته على موضوعات أدبية بحتة. وكانت كتب "المجالس" و"الأمالي" تمثل أسلوباً فنياً أرقى من هذه المجاميع، وأن تكن قد جنحت إلى التعليم. من أشهر كتاب الأمالي: "المبرد"، و" ثعلب" و"ابن دريد" و"القالي". وكان من الطبيعي بعد ذيوع هذه الكمية، من الأدب وعلم اللغة، أن تنشأ البلاغة وقد كانت في أول أمرها أحكاماً خاصة تلقائية على بيت أو شاعر في قصيدة. ولكن الجاحظ وابن المعتز حاولا تنظيم الفكر النقدي بمعالجة موضوع كامل، فعالج الجاحظ الخطابة، وعالج ابن المعتز البديع، حيث رتب أنواع البديع والمحسنات اللفظية لأول مرة. وأدخل قدامة بن جعفر (922) دراسة النعوت والعيوب في الشعر عامة.
جاء أبو هلال العسكري (1005) وأدخل دراسة الشعر والنثر من حيث البناء والأسلوب، بلاغة وبديعاً، في كتابه "الصناعتين"، وسادت عنده وعند من قبله فكرة طغيان اللفظ على المعنى، حتى جاء عبد القاهر الجرجاني (1087) فعدل الميزان، وجعل للمعنى مقاماً لايقل عن اللفظ، في كتابيه "الإعجاز" و"المعاني" حيث يبرز نظريته في تعليل الإعجاز بأنه في النظم، أي في علاقات الكلمات في الحملة. ونتيجة لاستمرار سيطرة الصياغة واللفظ، أخذ الأدباء في ممارسة أنواع من التأليف يمارسون فيها السجع بصنعة دقيقة، في "الفصول والرسائل". يعد ابن المعتز أول من روج لهذا النوع من التأليف الأدبي الذي طغى حتى القرن 10، وقلدهم الكتاب، فنشأت صناعة الإنشاء التي صبغت توقيعات الدواوين منذ ذلك الحين، كما في رسائل ابن العميد، والصاحب بن عباد (995).
تأثر أيضاً مؤلفو المجموعات الشعرية والأخبار بهذا الأسلوب المسجوع المتصنع، مثلما نرى في "يتيمة الدهر" للثعالبي، و"زهر الآداب" للحصري (1061) وظل هذا الأسلوب مطمح الأدباء، حتى أن أبا لعلاء المعري عالجه ومارسه، رغم اتساع أفقه ووفرة مقدرته على التعبير. وأدى هذا إلى جمود تفاقم أمره في النثر العربي، وأبعد بين الواقع وكتاب هذا النثر المسجوع المتصنع. وقد استعمل هذا الأسلوب بديع الزمان. وهو يبحث عن صور جديدة للتأليف الأدبي فأنشأ مأساة الأديب المشرد الذكي، في تصادمه مع واقع الحياة الظالم الغبي، في شخصية "عيسى بن هشام" في مقاماته. ومنذ تطوير بديع الزمان للمجالس والأمالي إلى مقامة قصصية، أخذ هذا اللون يقلد: قلده ابن شهيد في الأندلس، في "التوابع والزوابع"، حيث تقوم المجالس على مساجلة بينه وبين شياطين الشعراء القدامى. بعد ثماني سنوات ألف أبو العلاء المعري رسالة "الغفران" حيث يساجل الشعراء أنفسهم في الجنة. بجرأة قوية وفكر منطلق. ولكن هذا الأدب الجي لم يلق من الرواج ما لاقت رسالة ابن زيدون في هجاء منافسه ابن عبدون، أو كتاب "كمال البلاغة" لأمير طبرستان، قابوس بن وشمكير.
حتى مقامات البديع، لم تذع إلا بعد أن أحيا الحريري (1122) فن المقامة، بما ألف هو أيضاً من مقامات تجلى فيها ذكاؤه، وعلمه باللغة الذي فاق علم كتاب الرسائل وقد ساعدته ملكة شعرية على إتقان السجع. وتعد مقامات الحريري، وبديع الزمان، صورة صادقة للمجتمع الإسلامي وعصرهما، قلما نراها بهذه القوة. وانتشر التأليف التاريخي في هذا العصر، وانفصل عن الأدب وإن تأثر بنفس التيارات.
جمع الطبري (923) كل مصادر التاريخ الإسلامي قبله في "سير الملوك"، وكان قد ألفه ملحقاً للتفسير الذي قام به للقرآن. وكذلك استنفد البلاذري (892) المصادر الأولى: (كتب: الأزرقي، والفقيهي، والزبيري، وابن سعد كاتب الواقدي) في كتابه "أنساب الأشراف". وبدأت صور أخرى من التاريخ تظهر نتيجة لانفصاله عن الأدب، كتاريخ المدن "بغداد" لطيفور (893). ولأن المؤرخيين عالجوا موضوعات هامة، كتاريخ العالم، ووصف الرحلات (المسعودي 956) والحياة المعاصرة، وأخبار الحكام، وتراجم أرباب المهن، وأصحاب الوظائف، فقد أصبح التاريخ جزءاً لا يتجزأ من ثقافة الأديب، يؤثر فيه ويتأثر به. واتجه التاريخ اتجاهين: اتجاهاً علمياً دقيقاً، عند المصبحي، والقرطبي، والبيروني، والخطيب البغدادي، واتجاهاً أدبياً يبلغ ذروته عند دعاة المذاهب الإسلامية، وخاصة الشيعة، عندما يجمعون أخباراً وأقولاً للدعاية للمذهب. ويمثل هذا الاتجاه نهج البلاغة الذي يجمع إلى خطب علي بن أبي طالب البليغة أخباراً وتاريخاً هاماً، يبرر موقف الشيعة، واستكتب بعض ملوك الفرس البويهيين والغزنويين أمثال الصابي، والعنبي، ليكتبوا تاريخ أسرهم.
امتاز هذا التأليف بأسلوب مسجوع منمق، مناسب للملوك الذين طلبوا هذا التأليف. ولما عجز الشعراء عن متابعة العلوم الإنسانية والثقافة الفكرية في زمانهم، ضاق أفقهم وعاشوا في محيطهم الضيق. وازداد الأمر سوءاً، حين أصبح مجالهم الأكبر، ووظيفتهم الرئيسية، أن يمجدوا الحكام الذين رعوا الفنون. ومن هنا ضغط سلطان الشكل والتقليد القديم. ومنذ القرن 9 والشعراء يحاولون الفكاك من أسر هذه الكلاسيكية الطاغية. أول هؤلاء كان أبو تمام (846)، الذي حاول التوفيق بين غنائية الشعر الجاهلي، وبديع العصر العباسي، وحمل الشعر طاقات فكرية وصوراً عقلية جديدة، وإن كان معاصره البحتري (897) (الذي تتلمذ عليه ثم قورن به في دراسات عدة) قد ظل محافظاً على التقليد القديم. بشعر أرق وأكثر رواء. وفي العراق حاول ابن الرومي (896) أن يوجد للقصيدة وحدة عن طريق التحليل للصورة وللعاطفة، وأن يجدد في الأسلوب متأثراً بثقافة يونانية، ولكن شعره وإن أعجب الناس لم يقلد، ولم يمتد تياره المتشائم لمن جاء بعده. ويعد ابن المعتز (908) أكثر من أحيا القديم في محاولته التجديد. وأرجوزته (450 بيتاً) في وصف خلافة ابن عمه المعتضد تشهد بذلك حيث نجد مواقف مثل مواقف الرسائل تنظم بالشعر السهل الجميل.
منذ القرن 10، دخل البديع عنصراً أساسياً في الخيال الشعري، وكان لابد من شاعر فحل يمزج بين خصائص المدرسة السورية وخصائص المدرسة العراقية، في الشعر، فلم يقم بهذا إلا المتنبي (965) الذي ولد بالكوفة، وكان معجباً بشعر ابن الرومي وابن المعتز، ولكنه تعلم الشعر في سوريا، وعاش في بلاط سيف الدولة الجزء الأهم والأكبر من حياته الشعرية، وقد نافسه أبو فراس (968) في حلب بشعره الغزلي الرقيق كما نافسه ابن هانئ (973) في الأندلس بمدائحه الفاطمية. وقد سار أكثر الشعراء من بعده في نفس التيار، من حيث موضوعات القصيدة وفنيتها، وشهر في هذا القرن: الشريف الرضي (1015)، ومهيار الديلمي في العراق، ولكن أوسعهم شهرة وأميزهم شعراً كان أبا العلاء المعري (1057) في سوريا، الذي بدأ متأثراً بالمتنبي في "سقط الزند"، ثم انطلقت ملكته، فخرج عن الشكل المألوف في القصيدة إلى مقطوعات اللزوميات التي نالت شهرة عظيمة، لما حوته من أفكار سامية، فسيحة الأفق، حرة الانطلاق، ويعد أبو العلاء بشعره ونثره وأسلوب حياته، من أكبر شعراء العربية، إن لم يكن أكبرهم وفي الأندلس كان فحول الشعراء يقلدون شعراء المشرق: فقلد ابن هانيء أبا تمام وقلد ابن زيدون، البحتري، وابن دراج، المتنبي. في هذه الفترة أيضاً شهر ابن حمديس (1132) في صقلية والمعتمد الأمير العبادي (1092) في الأندلس. وأخذ الشعر الشعبي في الأندلس ينتعش في فن الموشحات والزجل. ومنذ القرن 12 إلى أول العصر الحديث نجد تيارين يتحكمان
في الإنتاج الأدبي: هما التيار المدرسي، والتيار الصوفي، وكلاهما كان نتيجة حركات السلاجقة في إنعاش مذهب السنية وإحيائه، وبإنشاء المدارس التي أدخل فكرتها نظام الملك (1092) في المدرسة النظامية، طرأ تغيير واضح في التاليف الأدبي، الذي استوحى متطلبات الدراسة المنظمة، وأخذ يوفي أغراضها في تخريج العلماء والموظفين للدولة، فطغت الكتب المدرسية، والموسوعات والمجموعات على التأليف المبتكر والخلق الأدبي. من مؤلفي هذا الطراز: التبريزي (1109) تلميذ أبي العلاء والجواليقي (1145)، والجويني (1085)، والغزالي (1111) في أول أمره، حيث ألف في الدفاع عن الإسلام ضد الإلحاد الهليني، وفشت كتب العقائد، فألف فيها النسفي والسنوسي والإيجي.
كما كثرت مجموعات الفتاوى والشروح والحواشي للتعليم، ومن الذين شذوا على هذا الاتجاه: ابن تيمية (1328) وتلميذه ابن قيم الجوزية (1350) اللذان هاجما جمود المدارس الدينية وطريقة الصوفية، ولكن أثرهما لا يظهر إلا بعد قرون عندما أحيا تعاليمهما محمد بن عبد الوهاب (1791) بتأسيس المذهب الوهابي في الجزيرة العربية. وإلى هذا الاتجاه أيضاً ترجع مدرسة محمود الجوانبوري (1652) التي أثرت في أجيال كثيرة في الهند، وفي دعوة ولي الله الدهلوي (1762). وألف السبكي (1370) في الشريعة، وابن نجيم المصري (1563) في الفقه الحنفي، وأبو حيان الأندلسي وتلميذه ابن هشام المصري (1360) في اللغة وامتد الأثر المدرسي إلى سائر فروع التأليف الأدبي، حتى الشعر، وأصبح تجميد الشكل، والجولان في إطار القديم، الهدف الأول للكتاب والشعراء، حتى صار من الصعب التفرقة بين شاعر وشاعر، لتشابه الموضوعات وتقارب طرق المعالجة، وشيوع أساليب التعبير الكلاسيكية.
مما ساعد على تقليل فرص الابتكار أن بعض البلاد التي دخلت في الإسلام، وكتب مؤلفوها بالعربية زماناً أخذت تحيي لغتها الأصلية، بعد أن امتصت من الألفاظ العربية ما شاءت فظهر جيل جديد من مسلمي الفرس يؤلف بالفارسية الحديثة، بعد أن كان آباؤه يؤلفون بالعربية، ويساهمون في إنعاش جو الخلق والابتكار. لكن بفضل أثر الاتجاه الصوفي، وازدياد الحركة الهلينية في النقل والترجمة ووفرة المؤلفات التاريخية، استطاعت بعض العقول أن تحلق فوق الواقع المدرسي الجامد، وتؤلف جديداً مبتكراً. ومن هؤلاء مؤلفو المذكرات والسير الذاتية، مثل أسامة بن منقذ (1188) وعمارة اليمني (1175)، وابن خلدون فيما ألف عن سيرته الذاتية (1406). كذلك مذكرات الرحلات (ورحلة الحج خاصة) التي تصف البلاد والناس وعاداتهم، نجد منها القيم عند أمثال أبي حامد الغرناطي (1170) وابن جبير (1217) وابن بطوطة (1377) من المغرب وعلي بن أبي بكر (1114) من المشرق. وإن تكن السيرة الذاتية عند كثيرين خضعت للتأثير المدرسي، فاقتصرت على ذكر الشيوخ والمؤلفات فإننا في بعضها نجد تقريرات هامة، مثل تقريرات بعض الذين كانوا يوفدون في مهمات. ومن أطراف هذا النوع مذكرات إلياس بن يوحنا (1683) عن رحلته إلى أمريكا. وفي زمان الحروب الصليبية كثر التأليف حول الحروب وآلاتها. والجياد خاصة، والجهاد بوجه عام. وكثر السجع والنثر الموزون في التأليف الأدبي، وعم شكل "الفصول" مثل "أطواق الذهب" للزمخشري (1143).
كان للقاضي الفاضل (1199) وزير صلاح الدين أثر كبير في إغناء لغة الدواوين وتطويرها، واستعمل السجع في كتابة التاريخ مثلما نجد عند الأصفهاني (1201) في تاريخه للسلاجقة ولصلاح الدين. وألفت الكتب البلاغية المدرسية التي جمدت البلاغة مثل كتاب "المفتاح" للسكاكي (1229)، الذي تعرض لكل موضوعات الأدب العربي وقننها في اختصار وأصبح السجع وسيلة كل تأليف أدبي أو ديمي. استمر أثر الهيلينية في العلوم، وانتعش التأليف الجديد في الطب حتى زمان الأنطاكي الذي كانت له "مختارات أدبية" أيضاً. وساهم الرازي (1209) والطوسي (1273)، وابن باجة الأندلسي (1138) وابن طفيل، وابن رشد (1198)، في نهضة علمية رياضية وفلسفية ضخمة.
وقد أنعش التصوف في الأندلس ابن العربي في هذه الفترة. ووصلت العلوم الجغرافية إلى ذروة مجدها دقة (الخرائط) وشمولاً. ويمثل هذا الطور في التأليف الجغرافي: الإدريسي، ثم جاء القزويني، والدمشقي، وابن الوردي، ليطوروا الجغرافيا إلى وصف طبيعة الأرض والبلاد (كوزمو جغرافيا). وانتشرت في هذا العصر الموسوعات: بدأت بكتب مفهرسة للأنساب، ككتاب السمعاني (1156) ثم جاء ياقوت بكتاب "البلدان" ثم جاءت تراجم الرجال: "وفيات الأعيان" لابن خلكان (1282)، و"الوافي بالوفيات" للصفدي (1363)، ومنها ما يختص بطائفة من الناس، كتراجم العلماء للبيهقي (1170)، والقفطي (1248)، أو الأطباء لابن أبي أصيبعة (1270) أو اللغويين للسيوطي (1505) أو الأدباء لياقوت الحموي، أو الفقهاء للسبكي، الصحابة لابن الأثير الجزري (1234)، والعسقلاني (1448) أو علماء الحديث لشمس الدين الذهبي (1348). ثم تراجم لسكان مدينة أو أعلامها، مثل: أعلام دمشق لابن عساكر (1176) وحلب لابن العديم (1262) ومصر للمقريزي (1442)، والأندلس لابن بشكوال (1183)، وغرناطة لابن الخطيب. كذلك ألفت كتب عن الأعلام، مرتبة حسب القرون، وأول من فعل ذلك العسقلاني، وموسوعات الأعلام تصل عند حاجي خليفة (1658) في "كشف الظنون"، إلى درجة كبيرة من الشمول. كذلك كثرت في هذا العصر موسوعات العلوم المتقاربة، مثل كتاب النويري "نهاية الأرب في علوم الأدب"، وكتاب القلقشندي " صبح الأعشى في صناعة الإنشا".
كثيراً ما كانت تختص الموسوعة بموضوع مثل الطب، أو وصف مصر، أو الفقه أو الحديث. وقد ألف في كل منها على حدة: عبد اللطيف البغدادي (1231). واستعرض السيوطي (1505) في عصر المماليك في مصر، المعارف كلها في زمانه، فيما يقرب من 400 رسالة، كل منها في موضوع. ونشط في هذا العصر أيضاً التأليف التاريخي، فبرز من المؤرخين: ابن الجوزي (1200)، وابن الأثير (1234) في كتابه الأشهر "الكامل" ثم النويري وأبو الفدا، والذهبي، وابن كثير، وابن خلدون والعيني وكلهم من أعلام القرون 13 و14و 15، ثم ظهر التأليف التاريخي الخاص بمنطقة مثل مصر، عند المقريزي، وابن حجر وتغري بردى، وابن إياس. وأرخ رشيد الدين للمغول، وابن خلدون للبربر، والمقري لمسلمي الأندلس في "نفخ الطيب". هذا الاهتمام الشديد بالتاريخ كان لابد أن ينتج نظرية في التأليف التاريخي، تبدأ عند السخاوي (1497) وتصل إلى نظرية علمية قوية عند ابن خلدون في مقدمته. وقد ترك المؤرخون بعد عماد الدين الأصفهاني الأسلوب المسجوع في الكتابة، وأن ظل بعضهم – مثل ابن حبيب الدمشقي (1377) في تاريخه للماليك، وابن عربشاه (1450) في تاريخه لتيمور- على سنة السجع. ولقد عانى شعر هذه الفترة من ضغط الاتجاه التعليمي والتقنيني، فلم ييرز من الشعراء إلا صفي الدين الحلي (1349) في العراق. وابن حجة الحموي (1434) في سوريا، والبهاء زهير (1258) في مصر. وظهرت قصيدة "نهج البردة" للبوصيري (1296) في هذه الفترة، فأصبحت من خوالد الأدب.
ظهر الموال والدوبيت. وجود في الموشح: الططلي (1129) وابن بقي (1146). وفي الأندلس وصل الموشح إلى ذروته، بعد أن نشأ شعبياً ثم احتضنه البلاط فصقل وارتفع مستواه الفني. وقد نقله إلى المشرق ابن سناء الملك (1211)، ولكنه في المشرق فقد كثيراً من حيويته وتلقائيته ورونقه: ولم يبق من الزجل إلا قليل ويمثله أكثر من يمثله: ابن قزمان (1160) في الأندلس، والشربيني (1687) في "هز القحوف" في مصر. وهناك "الشعر الملحون" الذي فشا في المغرب واليمن. وفي هذا العصر حاول ابن دانيال (1310) أن يوجد المسرح ب"خيال الظل" الذي روج له، فلم يفلح. ووصل أدب السيرة الشعبية إلى ذروته، فمجدت حروب بني هلال في البلاد العربية وفي أفريقيا، وحروب بني كلاب ضد الروم، كما مجد أبطال شعبيون، مثل: عنترة والبطال، والظاهر بيبرس، وسيف بن ذي يزن، وذات الهمة.
في القرن 15 وصلت ألف ليلة وليلة (على الأرجح) إلى شكلها الأخير، بعد أن ظلت قروناً طويلة يضاف إلى مجموعة قصصها أجزاء من شتى المصادر. وأما أثر التصوف، فإن يكن بدأ قليلاً، فلقد قوي مع الزمن، وبدأ يثمر، منذ وفق الغزالي في كتابه "إحياء علوم الدين" إلى التوفيق بين مذهب التصوف ومذهب السنة. وساهم في هذا المضمار أيضاً عبد القادر الجيلاني (1166)، وأصبحت "الخانقاه" الصوفية تجاور المدرسة السنية في البلاد الإسلامية. وقد رعاها الحكام وانفقوا عليها. وأرسى شهاب الدين السهروردي (1191) في الصوفية قواعد مذهب "الإشراق" الصوفي، على أساس فهم شرقي للأفلاطونية الحديثة. وفي "عوارف المعارف" قنن عمر السهروردي (1234) "للإشراق" أيضاً، وإن يكن المذهب أثر في الشرق الأقصى أكثر من تأثيره في البلاد العربية. في الصوفية، أسس محي الدين ابن عربي (1240)، الذي ولد في الأندلس ومات في دمشق، مذهب وحدة الوجود على أساس من التصوف الأندلسي والأفلاطونية الحديثة. وبينما نجد النثر الصوفي لا يصل إلى درجة كبيرة من الجودة، وقد اختص بالمدح وذكر مناقب الأئمة والشهداء، نجد الشعر- وإن يكن لم يصل إلى آفاق الشعر الفارسي الصوفي- يصل إلى مستوى فني عال، فيصف النشوة الدينية في أشعار رمزية، اتخذت الغزل ووصف الخمر التقليدين سبيلاً إلى التعبير.
أهم شاعر في هذا النوع هو عمر بن الفارض (1235) المصري، الذي يفرض شاعريته وعبقريته على هذا العنصر كله. وشعر ابن عربي أكثر كمية. ولكنه أقل شاعرية من ابن الفارض. وقد استعمل ابن عربي شكل مدائح العباسيين وموشحات الأندلسيين، ليؤدي أغراضه في التعبير عن التجلي الصوفي والنشوة الدينية. من تلاميذه: التلمساني (1291) وابنه شمس الدين المعروف باسم "الشاب الظريف" (1289). وفي عصر خمود الأدب، بعد الفتح العثماني وسلطانه القوي على مصر وسوريا، ظل التأليف الصوفي النور الوحيد في هذا الظلام، وبخاصة منذ القرن 16. يمثل هذه الفترة: الشعراني (1565)، ولكن عبد الغني النابلسي (1731) يعد أبرز شخصية فيها. فإلى جانب رسائله في الصوفية والفقه، نجد له شعراً، ونجد عنده فناً جديداً هو وصف رحلات صوفية بالنثر المقطع المقفى.
وقد تأثر به أكثر كتاب القرن 18 في مصر وسوريا، بل وصل أثره إلى المغرب أيضاً. وظل الإشراق الصوفي مؤثراً في الشرق الأقصى بفضل صدر الدين الشيرازي (1640)، وفيض الكاشي (1676) الذين أثرا في نشأة مدرسة الإصلاح الشيعي في الهند، التي أسسها الشيخ أحمد الإحسائي (1827). وفي آخر هذه الفترة، بدأت علائم العودة إلى المدرسة السنية في التصوف وذلك فيما ألف الزبيري (1791)، وقد ولد في الهند وعاش في مصر، كما تظهر عند الشاذلية في المغرب.
المعلقات
ويقال أن هذه القصائد كانت تكتب بماء الذهب وتعلق على أستار الكعبة قبل مجيء الإسلام، وهو أمر نشُكُّ فيه لأسباب أهمها أنا لا نعلم شيئا كُتِب بماء الذهب في ذلك العصر وأن الخط كان ضعيفا فكانت القصائد تُحفظ شفاها وكان لكل شاعر كبير راويةٌ مختصٌّ برواية شعره، والأهم من كل ذلك أن قضية تعليقها على الكعبة لم يذكره مؤرخ قديم على الإطلاق والغالب أن النحاس هو أول من ذذهب وهمه إلى ذلك ، إذ الصواب أن اسم المعلقات إنما جاء من العِلق وهو الشيء النفيس أو من التعلق لعلوقها في أذهان الناس وكثرة روايتهم لها وتعلقهم بها. وتعد هذه القصائد أروع وأنفس ما قيل في الشعر العربي القديم لذلك اهتم الناس بها ودونوها وكتبوا شروحا لها, وهي عادة ما تبدأ بذكر الأطلال وتذكر ديار محبوبة الشاعر كما في معلقة عنترة بن شداد وسميت بالمعلقات لأنها أسرع حفظا وعلوقا في أذهان الناس وعدد المعلقات على أكثر القول سبع معلقات ويقال أن عددها عشر معلقات ومن شعراء المعلقات امرؤ القيس.
النقد
لقد ظهر النقد بعد الأدب، فالأدب مادة النقد، ولكن ما هي أهميته؟
ربما هذا هو السؤال الذي طرحه أحدهم حين ذاق درعا من مشاكسة النقاد وردهم للنصوص التي اعتقدها جيدة« قال قائل لـخلف الأحمر:إذا سمعت أنا بالشعر واستحسنته فما أبالي ما قلت فيه أنت وأصحابك، فقال له إذا أخذت أنت درهما واستحسنته فقال لك الصراف أنه ردي؛ هل ينفعك استحسانك له؟»
النقد في اللغة
1- تمييز الدراهم وغيرها. 2- نقدها ينقدها نقدا وانتقادا، وتنقدها ونقده إياهانقدا: أعطاه إياها فانتقدها أي: قبضها. ونقدت له الدراهم أي أعطيته إياها، أي قبصها.
3- ناقدت فلانا إذا ناقشته في الأمر. 4- نقد الشيء ينقده نقدا:إذا نقره بإصبعه.
5- نقد شيئا من الطعام أي يأكل منه شيئا يسيرا. 6- نقد الرجل الشيء /نظره. ونقد إليه اختلس النظر نحوه.
7- نقدته الحية: لذغته. 8- الطائر ينقد الفخ: أي ينقر.
9- نقد فلان فلانا:اغتابه وأعابه أي ذكر عيوب الشخص ولا يقتصر على الشخص فقط بل على الشئ كذلك
المراجع:
طبقات الشعراء ← ابن سلام الجمحي
القاموس المحيط ← الفيروزأبادي
النقد في الاصطلاح
ونخص به نقد الأدب، وهو: البحث عن أسباب الاستحسان والاستهجان، واستخلاص عناصر الجمال، وتبيين سمات القبح بتجرد من الهوى ونفي التعصب، وبتقرب أكثر إلى الموضوعية، بغرض تقويم العمل الأدبي وتقييمه.
فلم يكن النقد الأدبي مكتوباً كما هو الحال اليوم، وإنما كان شفهياً، وأبرز مثال على ذلك هو سوق عكاظ، حيث كان الشاعر يلقي ما لديه من جديد الشعر على أسماع الناس فينقدونه، وفي ذلك شكل من أشكال النقد الأدبي.
موضوعية النقد وذاتيته
بما أن الذات الإنسانية تجنح إلى تقويم وتقييم الأشياء فإن النقد أول ما بدأ كان يعتمد على الذوق ولذى كان بسيطا سادجا انطباعيا، لكن الأذواق تختلف وما يجده هذا جيدا قد لا يجده الآخر كذالك، ولهذا وجب استعمال مناهج علمية توحد عملية الدراسة النقدية لتكون موضوعية وأن كان الوصول إلى الموضوعية الكاملة أمرا مستحيلا إلا أن الطريقة النقدية لابد من أن تشارك العلم نظريا -ولو نسبيا- مادامت ترتكز إليه.
النقد في الجاهلية
كان يعقد للنقد الأدبي في الجاهلية أماكن معينة مثل مجلس التحكيم في سوق عكاظ الذي كان شعراء العربية يعرضون فيه قصائدهم على بعض شيوخ الشعر ممن اكتسب شُهرة في الشعر وذاع صيته بين الناس. ومن الأمثلة التي وصلت إلينا والتي تبين أسلوب ونهج النقد الأدبي للقصيدة قصة تاريخية حدثت بين حسان بن ثابت والخنساء حين حضرا مجلس النابغة الذبياني فأنشد حسان بين يدي النابغة قوله في ميمية له
فقال له النابغة: والله إنك لشاعر لكن:
لو أنك قلت جفان بدل جفنات لكان أبلغ حيث أن جفان جمع كثرة وجفنات جمع قلة
لو قلت يبرقن بالدجى لكان أحسن من يلمعن بالضحى لأن الضيوف يكثرن بالليل
لو قلت يجرين بدلا من يقطرن لدلت على غزارة الدم
حبذا لو فخرت بمن ولدت وليس بمن ولدك.
فقال حسّان والله إني لأشعر منك ومنها يعني الخنساء، فقال النابغة يابن أخي إنك لا تُحسِنُ أن تقولَ مثل قولي:
وإنك كالليل الذي هو مُدركي | وإن خِلتُ أنَّ المُنتأى عنكَ واسِعُ
وهذا تصوير لسبل النقد في الجاهلية.
صور من النقد الجاهلي
1- حكومة أم جندب 2-المسيب بن علس وقصة استنوق الجمل
3-الاقواء في شعر النابغة 4-من حكومات النابغة في سوق عكاظ
و خلاصة النقد في العصر الجاهلي أنه كان نقد بسيط كان نقد ابيات معينة وليست القصيدة باكملها ويكون في الأولية نقد الشاعر لنفسة وتضل قصيدتة معه حولا يعيد قراءتها وترتيبها.
كما أنه نقد لا يستند إلى معايير فنية بل يستند للعرف أحيانا وللذوق الخاص أحياناوللغريزة أحيانا.
أوائل الشعراء وأبرزهم
اختلف مؤرخو الشعر في معرفة أوائل الشعراء فقيل إن الزير سالم سُمي مهلهلاً لأنه أول من هلهل القصائد. وقد بالغ بعض علماء المئة الثانية فظنوا أن الشعر قديم جدا فنسبوا إلى عاد شعرا بل نسبوا إلى آدم عليه السلام بيت شعر حين قتل هابيل قابيلَ:
: تغيَّرَت البلادُ ومن عليها | فوجهُ الأرضِ مُغْبرٌّ قبيحُ
وهذا ما أنكره ابن سلام الجُمحي أشدّ الإنكار. ونجدنا نوافق الجاحظ في مذهبه أن الشعر الجاهلي قد ظهر قبل الإسلام بمئة وخمسين سنة. ومن أفضل مصادرنا عن الشعر الجاهلي:
سيرة ابن هشام التي هي تهذيب لسيرة ابن إسحق مع زيادات وتعليقات أضافها عليها ابن هشام ت 213هـ، وكُتب المختارات كالحماسة لأبي تمام الطائي 231هـ، وكالأصمعيات لعبدالملك بن قريب الأصمعي ت 216، وكالمفضليات للمفضل الضبي وهو كتاب أكبر من كتاب الأصمعيات بكثير ومختارات أخرى.
ثم نجد شعراء المعلقات قد ظهروا قبيل الإسلام بقليل وبعضهم ربما أدركه شيخا كبيرا كزهير بن أبي سُلمى الذي أسلم ابنه كعب عام الفتح، وبعضهم أسلم فعُد من المخضرمين (بفتح الراء وكسرها كما تقول المعاجم) كلبيد بن ربيعة العامري الذي عُمِّر طويلاً، وشعراء المعلقات هم امرؤ القيس ابن حُجر الكندي ويُلقب بالملك الضِّلّيل وأول من لقبه بذلك لبيد بن ربيعة حين سئل عن أشعر الناس فقال: الملك الضّليل يعني امرء القيس، قيل ثم من؟ فقال: الغلامُ القتيل: يعني طرفة، قيل ثم من ؟ فقال: الشيخُ أبو عثيل، يعني نفسه. والشاعر الثاني و طرفة بن العبد ثم عنترة بن شداد العبسي، ثم عمرو بن كلثوم التغلبي، ثم زهير بن أبي سلمى المزني ثم الحارث بن حلزة اليشكري وآخرهم موتا لبيد بن ربيعة العامري، وأضافوا إليهم الأعشى والنابغة الذبياني وعبيد بن الأبرص.
وقد ضمت موسوعة أبوظبي للشعر العربي ثلاثة ملايين بيت شعر من الشعر الجاهلي (شعر ما قبل الإسلام) والشعر الإسلامي (النبوي والراشدي ) والأموي، ثم الشعر العباسي الذي هو أكثر فترات الشعر العربي ازدهارا وأغزره إنتاجا لطول فترة حكم العباسيين ولإضافة الشعر الأندلسي إليه لأنه وإن اختلف عنه مكانا فقد واكبه زماناً تقريبا، ومن أشهر شعراء العصر العباسي أبو تمام الطائي ت 231، وأبو الطيب المتنبي ت 354، وأبو العلاء المعري ت 449، والدراسات عنهم مستمرة في كل الجامعات المهتمة بدراسة الأدب العربي في الشرق والغرب، ومن آخر ما صدر أطروحة الدكتور الراحل محمد ولد الشيخ عن الشعر العباسي التي طُبِعتْ في كتاب، وأطروحة الدكتور عبد الرحمن بلّو عن لزوميات المعري: (أبيستيمولوجيا المعقول واللامعقول في اللزوميات) وقد وصفها الدكتور جميل نصيف جاسم التكريتي بأنها أحسن أطروحة دكتوراة كُتبت في الموضوع.
العصر الحديث
يؤرخ عادة للعصر الحديث بحدثين تاريخيين مهمين مرا على العرب أحدهما داخلي هو قيام الحركة الإصلاحية في شبه الجزيرة العربية في القرن الثامن عشر . توفي محمد بن عبد الوهاب عام 1792مـ، وبحدث آخر حصل على إثره لا بسببه وهو حملة نابوليون بونابرت على مصر سنة 1797. فهذان الحدثان يؤرخ بهما لقيام العصر الحديث، (ينظر مقدمة تراث الإسلام تحرير المستشرق: جوزيف شاخت، عالم المعرفة: الكويت).
ومن أكبر المجددين ورائد (مدرسة الإحياء) في الشعر العربي في نهاية القرن التاسع عشر هو الراحل محمود سامي البارودي باشا 1902، وقد تأثر به شعراء مدرسة الإحياء وأشهرهم في مصر أحمد شوقي وحافظ إبراهيم توفيا 1932، وفي العراق معروف الرصافي وقد عاصرهم شعراء كثيرون من مثل إسماعيل صبري وأحمد محرم وجميل صدقي الزهاوي و وحيد خيون.
وجاء بعدهم شعراء تأثروا بما ترجم من الآداب الأوربية فقامت مدرسة أبولو في مصر. وكانت تعيش إلى جانب هاتين المدرستين مدرسة نشأت في الجانب الآخر من العالم أطلق عليها مجموعة (شعراء المهجر) حيث أنتجت كوكبة من النصارى العرب المهاجرين أدبا أصيلا تجديديا خالدا امتك سماته الخاصة وشق طريقه في تاريخ الأدب العربي وأول من أرح لبواكيره الأب لويس شيخو في كتابه المهم عن تلك الفترة (تاريخ الآداب العربية في القرن التاسع عشر والربع الأول من القرن العشرين)، ومن أشهر شعراء المهجر وأبقاهم ذكرا إيليا أبو ماضي وقد تأخرت وفاته إلى سنة 1957، وجبران خليل جبران وميخائيل نعيمة ونسيب عريضة ورشيد سليم الخوري
ثم ظهر شعر التفعيلة أو (الشعر الحر) على يد مجموعة من الشعراء العراقيين أشهرهم بدر شاكر السياب الذي أصدر عدة دواوين وزميلته نازك الملائكة ، وأصبح الشعر الحر مدرسة أنتج فيها كثيرون دواوين كثيرة وغنيت قصائدهم كنزار قباني، وممن أبدع فيه صلاح عبد الصبور وعبدالرحمن العشماوي وأمل دنقل ومن اليمن عبد العزيز المقالح.
وظهر في الستينيات فن أدبي سُمي بقصيدة النثر حاول أصحابه الاكتفاء بالصورة والاستعارة وبعض الإيقاع ولكن لم تستسغه الأذن العربية، وقد صدق ظن الناقد الكبير الأستاذ إحسان عباس حيث ذهب إلى أن الأغنية العربية كانت داعما قويا للقافية وللشعر المقفى سواء كان بشطرين أو شعر تفعيلة فأغنية مقفاة.
المقامات
المقامات هي مجموعة من الكلام الفصيح المغلى بالصدف والمرجان مجموعة حكايات قصيرة متفاوتة الحجم جمعت بين النثر والشعر بطلها رجل وهمي. وعرف بخداعه ومغامراته وفصاحته وقدرته على قرض الشعر وحسن تخلصه من المآزق إلى جانب أنه شخصية فكاهية نشطة تنتزع البسمة من الشفاه والضحكة من الأعماق. ويروي مغامرات هذه الشخصية التي تثير العجب وتبعت الإعجاب رجل وهمي يدعى عيسى بن هشام. يعتبر كتاب المقامات أشهر مؤلفات بديع الزمان الهمذاني الذي له الفضل في وضع أسس هذا الفن وفتح بابه واسعاً ليلجه أدباء كثيرون أتوا بعده وأشهرهم أبو محمد القاسم الحريري وناصف اليازجي. ولهذا المؤلف فضل كبير في ذيوع الصيت ، بديع الزمان الهمذاني لما احتواه من معلومات جمة تفيد جميع القراء من مختلف المشارب والمآرب إذ وضعه لغاية تعليمه فكثرت فيه أساليب البيان وبديع الألفاظ والعروض، وأراد التقرب به من الأمير خلف بن أحمد فضمنه مديحاً يتجلى خاصة في المقامة الحمدانية والمقامة الخمرية فنوع ولون مستعملاً الأسلوب السهل، واللفظ الرقيق، والسجع القصير دون أدنى عناء أو كلفة.
وقد اشتهرت من المقامات مقامتان التي جالت في كل أنحاء العالم الإسلامي ، وهي:
مقامات بديع الزمان الهمذاني.
مقامات الحريري.
تنطوي المقامات على ضروب من الثقافة إذ نجد بديع الزمان'‘ يسرد علينا أخباراً عن الشعراء في مقامته الغيلانية'‘ و'‘ مقامته البشرية ويزودنا بمعلومات ذات صلة بتاريخ الأدب والنقد الأدبي في مقامته الجاحظية والقريضية والإبليسية، كما يقدم في المقامة الرستانية وهو السني المذهب، حجاجاً في المذاهب الدينية فيسفه عقائد المعتزلة ويرد عليها بشدة وقسوة، ويستشهد أثناء تنقلاته هذه بين ربوع الثقافة بالقرآن الكريم والحديث الشريف، وقد عمد إلى اقتباس من الشعر القديم والأمثال القديمة والمبتكرة فكانت مقاماته مجلس أدب وأنس ومتعة وقد كان يلقيها في نهاية جلساته كأنها ملحة من ملح الوداع المعروفة عند أبي حيان التوحيدي في "الامتناع والمؤانسة"، فراعى فيها بساطة الموضوع، وأناقة الأسلوب، وزودها بكل ما يجعل منها:
وسيلة للتمرن على الإنشاء والوقوف على مذاهب النثر والنظم.
رصيد لثروة معجمية هائلة.
مستودعاً للحكم والتجارب عن طريق الفكاهة.
وثيقة تاريخية تصور جزءاً من حياة عصره وإجلال رجال زمانه.
كما أن مقامات بديع الزمان تعتبر نواة المسرحية العربية الفكاهية، وقد خلد فيها أوصافاً للطباع الإنسانية فكان بحق واصفاً بارعاً لا تفوته كبيرة ولا صغيرة، وأن المقامات هذه لتحفة أدبية رائعة بأسلوبها ومضمونها وملحها الطريفة التي تبعث على الابتسام والمرح، وتدعو إلى الصدق والشهامة ومكارم الأخلاق التي أراد بديع الزمان إظهار قيمتها بوصف ما يناقضها، وقد وفق في ذلك أيمن توفيق.
وهناك مقامات الحريري لمحمد الحريري التي أحدثت ضجة في العراق والأندلس بشكل خاص وفي العالم الإسلامي بشكل عام وقام يحيى بن محمود الواسطي برسم حكايتها.
المدارس الأدبية في العصر الحديث
مدرسة المطران
مدرسة المخلص
مدرسة المار يوسف
مدرسة الأميركان
اقرأ أيضاً
أدب جاهلي
شعر عربي
نثر عربي
الأدب في العصر العباسي
المصادر
*
تصنيف:ثقافة عربية
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%A3%D8%AF%D8%A8%20%D8%B9%D8%B1%D8%A8%D9%8A |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
194,
1135,
2405,
3794,
4281,
5141,
7338,
8438,
9493,
9946,
10068,
10191,
10590,
10862,
11081,
11259
],
"plaintext_end_byte": [
193,
1087,
2303,
3704,
4249,
5076,
7271,
8356,
9461,
9907,
10067,
10190,
10530,
10779,
11010,
11258,
11573
]
} | గుడిగల్ల భాగ గ్రామం ఏ శాసనసభ నియోజకవర్గ పరిధిలోకి వస్తుంది? | గుడిగల్ల భాగ | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
గుడిగల్ల భాగ, తూర్పు గోదావరి జిల్లా, పామర్రు మండలానికి చెందిన గ్రామము.[1].
ఇది మండల కేంద్రమైన పామర్రు నుండి 16 కి. మీ. దూరం లోను, సమీప పట్టణమైన రామచంద్రపురం నుండి 14 కి. మీ. దూరంలోనూ ఉంది. 2011 భారత జనగణన గణాంకాల ప్రకారం ఈ గ్రామం 116 ఇళ్లతో, 396 జనాభాతో 85 హెక్టార్లలో విస్తరించి ఉంది. గ్రామంలో మగవారి సంఖ్య 207, ఆడవారి సంఖ్య 189. షెడ్యూల్డ్ కులాల సంఖ్య 0 కాగా షెడ్యూల్డ్ తెగల సంఖ్య 4. గ్రామం యొక్క జనగణన లొకేషన్ కోడ్ 587715[2].పిన్ కోడ్: 533263.
విద్యా సౌకర్యాలు
గ్రామంలో ప్రభుత్వ ప్రాథమిక పాఠశాల ఒకటి ఉంది.
సమీప బాలబడి, ప్రాథమికోన్నత పాఠశాల పేకేరులోను, మాధ్యమిక పాఠశాల SIVALAలోనూ ఉన్నాయి. సమీప జూనియర్ కళాశాల కుడుపూరులోను, ప్రభుత్వ ఆర్ట్స్ / సైన్స్ డిగ్రీ కళాశాల పేకేరులోనూ ఉన్నాయి. సమీప వైద్య కళాశాల కాకినాడలోను, మేనేజిమెంటు కళాశాల, పాలీటెక్నిక్లు రామచంద్రపురంలోనూ ఉన్నాయి. సమీప వృత్తి విద్యా శిక్షణ పాఠశాల, అనియత విద్యా కేంద్రం ద్రాక్షారామంలోను, దివ్యాంగుల ప్రత్యేక పాఠశాల కాకినాడ లోనూ ఉన్నాయి.
వైద్య సౌకర్యం
ప్రభుత్వ వైద్య సౌకర్యం
సమీప ప్రాథమిక ఆరోగ్య ఉప కేంద్రం గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. పశు వైద్యశాల గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. ప్రాథమిక ఆరోగ్య కేంద్రం గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. డిస్పెన్సరీ, సంచార వైద్య శాల గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉన్నాయి. సమీప సామాజిక ఆరోగ్య కేంద్రం, మాతా శిశు సంరక్షణ కేంద్రం, టి. బి వైద్యశాల గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరంలో ఉన్నాయి. అలోపతి ఆసుపత్రి, ప్రత్యామ్నాయ ఔషధ ఆసుపత్రి, కుటుంబ సంక్షేమ కేంద్రం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరంలో ఉన్నాయి.
ప్రైవేటు వైద్య సౌకర్యం
తాగు నీరు
గ్రామంలో కుళాయిల ద్వారా రక్షిత మంచినీటి సరఫరా జరుగుతోంది. బావుల నీరు కూడా అందుబాటులో ఉంది. తాగునీటి కోసం చేతిపంపులు, బోరుబావులు, కాలువలు, చెరువులు వంటి సౌకర్యాలేమీ లేవు.
పారిశుధ్యం
గ్రామంలో మురుగునీటి పారుదల వ్యవస్థ లేదు. మురుగునీటిని నేరుగా జలవనరుల్లోకి వదులుతున్నారు. గ్రామంలో సంపూర్ణ పారిశుధ్య పథకం అమలవుతోంది. సామాజిక మరుగుదొడ్డి సౌకర్యం లేదు. ఇంటింటికీ తిరిగి వ్యర్థాలను సేకరించే వ్యవస్థ లేదు. సామాజిక బయోగ్యాస్ ఉత్పాదక వ్యవస్థ లేదు. చెత్తను వీధుల పక్కనే పారబోస్తారు.
సమాచార, రవాణా సౌకర్యాలు
సబ్ పోస్టాఫీసు సౌకర్యం గ్రామానికి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. పోస్టాఫీసు సౌకర్యం, పోస్ట్ అండ్ టెలిగ్రాఫ్ ఆఫీసు గ్రామానికి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉన్నాయి. మొబైల్ ఫోన్ ఉంది. లాండ్ లైన్ టెలిఫోన్, పబ్లిక్ ఫోన్ ఆఫీసు గ్రామానికి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉన్నాయి. ఇంటర్నెట్ కెఫె / సామాన్య సేవా కేంద్రం, ప్రైవేటు కొరియర్ గ్రామానికి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉన్నాయి.
గ్రామానికి సమీప ప్రాంతాల నుండి ప్రభుత్వ రవాణా సంస్థ బస్సులు తిరుగుతున్నాయి. సమీప గ్రామాల నుండి ఆటో సౌకర్యం కూడా ఉంది. వ్యవసాయం కొరకు వాడేందుకు గ్రామంలో ట్రాక్టర్లున్నాయి. ప్రైవేటు బస్సు సౌకర్యం గ్రామానికి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. రైల్వే స్టేషన్ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది.
ప్రధాన జిల్లా రహదారి, జిల్లా రహదారి గ్రామం గుండా పోతున్నాయి. జాతీయ రహదారి, రాష్ట్ర రహదారి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి. గ్రామంలో కంకర రోడ్లు ఉన్నాయి.
మార్కెటింగు, బ్యాంకింగు
గ్రామంలో స్వయం సహాయక బృందం ఉంది. పౌర సరఫరాల వ్యవస్థ దుకాణం గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. వాణిజ్య బ్యాంకు, సహకార బ్యాంకు, వ్యవసాయ పరపతి సంఘం గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉన్నాయి. రోజువారీ మార్కెట్, వారం వారం సంత గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉన్నాయి. ఏటీఎమ్ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది. వ్యవసాయ మార్కెటింగ్ సొసైటీ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది.
ఆరోగ్యం, పోషణ, వినోద సౌకర్యాలు
గ్రామంలో సమీకృత బాలల అభివృద్ధి పథకం, అంగన్ వాడీ కేంద్రం, ఇతర పోషకాహార కేంద్రాలు, ఆశా కార్యకర్త ఉన్నాయి. గ్రామంలో వార్తాపత్రిక పంపిణీ జరుగుతుంది. జనన మరణాల నమోదు కార్యాలయం ఉన్నాయి. సినిమా హాలు, పబ్లిక్ రీడింగ్ రూం, అసెంబ్లీ పోలింగ్ స్టేషన్ గ్రామం నుండి 5 కి.మీ.లోపు దూరంలో ఉన్నాయి. ఆటల మైదానం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది. గ్రంథాలయం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది.
విద్యుత్తు
గ్రామంలో గృహావసరాల నిమిత్తం విద్యుత్ సరఫరా వ్యవస్థ ఉంది. రోజుకు 7 గంటల పాటు వ్యవసాయానికి, 14 గంటల పాటు వాణిజ్య అవసరాల కోసం కూడా విద్యుత్ సరఫరా చేస్తున్నారు.
భూమి వినియోగం
గుడిగల్ల భాగలో భూ వినియోగం కింది విధంగా ఉంది:
వ్యవసాయేతర వినియోగంలో ఉన్న భూమి: 15 హెక్టార్లు
నికరంగా విత్తిన భూమి: 69 హెక్టార్లు
నీటి సౌకర్యం లేని భూమి: 21 హెక్టార్లు
వివిధ వనరుల నుండి సాగునీరు లభిస్తున్న భూమి: 48 హెక్టార్లు
నీటిపారుదల సౌకర్యాలు
గుడిగల్ల భాగలో వ్యవసాయానికి నీటి సరఫరా కింది వనరుల ద్వారా జరుగుతోంది.
కాలువలు: 48 హెక్టార్లు
ఉత్పత్తి
గుడిగల్ల భాగలో ఈ కింది వస్తువులు ఉత్పత్తి అవుతున్నాయి.
ప్రధాన పంటలు
వరి
గణాంకాలు
జనాభా (2011) - మొత్తం 396 - పురుషుల సంఖ్య 207 - స్త్రీల సంఖ్య 189 - గృహాల సంఖ్య 116
2001 వ.సంవత్సరం జనాభా లెక్కల ప్రకారం గ్రామ జనాభా 376.[3] ఇందులో పురుషుల సంఖ్య 198, మహిళల సంఖ్య 178, గ్రామంలో నివాసగృహాలు 96 ఉన్నాయి.
మూలాలు
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%97%E0%B1%81%E0%B0%A1%E0%B0%BF%E0%B0%97%E0%B0%B2%E0%B1%8D%E0%B0%B2%20%E0%B0%AD%E0%B0%BE%E0%B0%97 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
293
],
"plaintext_end_byte": [
292,
1134
]
} | గార్లపాడు గ్రామ జనాభా 1999 నాటికి ఎంత? | గార్లపాడు | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | గార్లపాడు పేరుతో ఒకటి కంటే ఎక్కువ పేజీలున్నందువలన అయోమయ నివృత్తి పేజీ అవసరం ఏర్పడింది. ఈ పేరుతో ఉన్న పేజీలు:
గార్లపాడు (మద్దిపాడు మండలం) - ప్రకాశం జిల్లా, మద్దిపాడు మండలానికి చెందిన గ్రామము
గార్లపాడు (బోనకల్లు మండలం) - ఖమ్మం జిల్లా, బోనకల్లు మండలానికి చెందిన గ్రామము
గార్లపాడు (కాకుమాను మండలం) - గుంటూరు జిల్లా, కాకుమాను మండలానికి చెందిన గ్రామము
గార్లపాడు (హీర మండలం) - శ్రీకాకుళం జిల్లాలోని హీరమండలం మండలానికి చెందిన గ్రామము.
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%97%E0%B0%BE%E0%B0%B0%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B0%AA%E0%B0%BE%E0%B0%A1%E0%B1%81 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
2705,
2976,
3621,
4216,
4403,
4771,
6049,
7458,
7809,
8211,
9213,
11528,
12530,
13489,
13943,
14058,
15157,
15340,
15452
],
"plaintext_end_byte": [
2629,
2908,
3188,
4190,
4402,
4723,
5947,
7394,
7782,
8179,
9148,
11461,
12448,
13457,
13904,
14057,
15097,
15339,
15426,
15593
]
} | వీరంపాలెం గ్రామ విస్తీర్ణం ఎంత? | వీరంపాలెం (తాడేపల్లిగూడెం) | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
1025
],
"minimal_answers_end_byte": [
1057
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
వీరంపాలెం, పశ్చిమ గోదావరి జిల్లా, తాడేపల్లిగూడెం మండలానికి చెందిన గ్రామము.[1]. ఇక్కడ కల మేధా సరస్వతి ఆలయం బహుళ ప్రసిద్దం. మెదటిది బాసర కాగా ఇది ఆంధ్రప్రదేశ్ రాష్ట్రంలో ఉన్న సరస్వతీ దేవాలయములలో రెండవది. ఈ ఆలయం పలు ఆలయాల ప్రాంగణంతో విశాలంగా ఆహ్లాదంగా నిర్మింపబడినది. ఇది మండల కేంద్రమైన తాడేపల్లిగూడెం నుండి 20 కి. మీ. దూరంలో ఉంది. 2011 భారత జనగణన గణాంకాల ప్రకారం ఈ గ్రామం 1304 ఇళ్లతో, 4316 జనాభాతో 1193 హెక్టార్లలో విస్తరించి ఉంది. గ్రామంలో మగవారి సంఖ్య 2140, ఆడవారి సంఖ్య 2176. షెడ్యూల్డ్ కులాల సంఖ్య 1382 కాగా షెడ్యూల్డ్ తెగల సంఖ్య 42. గ్రామం యొక్క జనగణన లొకేషన్ కోడ్ 588319[2].పిన్ కోడ్: 534101.
గ్రామంలో ప్రభుత్వ ప్రాథమిక పాఠశాలలు మూడు, ప్రభుత్వ ప్రాథమికోన్నత పాఠశాలలు రెండు, ప్రభుత్వ మాధ్యమిక పాఠశాల ఒకటి ఉన్నాయి.
ఒక సంచార వైద్య శాలలో డాక్టర్లు లేరు. ముగ్గురు పారామెడికల్ సిబ్బంది ఉన్నారు. జిల్లా రహదారి గ్రామం గుండా పోతోంది. ప్రధాన జిల్లా రహదారి గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. జాతీయ రహదారి, రాష్ట్ర రహదారి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి. గ్రామంలో తారు రోడ్లు, కంకర రోడ్లు, మట్టిరోడ్లూ ఉన్నాయి.
గరిమెళ్ళ వెంకటరమణ శాస్త్రి
ఈయన ఆలయ నిర్మాణకర్త. ప్రముఖ జ్యోతిషపండితుడు, విద్యావేత్త, వాస్తు సిద్ధాంతి.
ఆలయాల నిర్మాణం, విశేషాలు
ఈ ఆలయం పలు ఆలయాల సమూహం. లోపల మొత్తం పెద్దవి ఎనిమిది, చిన్నవి అనేక అలయాలు ఉన్నాయి
వీరేశ్వరస్వామి వారి ఆలయం
పార్వతి అమ్మవారి ఆలయం
సరస్వతి ఆలయం
సాయిబబా ఆలయం
గాయత్రి మాత ఆలయం
ధ్యాన మందిరం
భోజన శాల
కళా ప్రదర్శన ప్రాంగణం
ఆలయ ప్రత్యేకతలు, విశేషాలు
ఇక్కడ విరాళాలు, హుండీలలో దక్షణలు మరియు పళ్ళేలలో చిల్లర వేయడం లాంటివి ఉండవు.
ఇక్కడ సంగీతపరమైన ధ్యాన సాధనకు అనుకూలంగా అతిపెద్ద ధ్యానమందిరం కలదు. (ఆడియో సిస్టం, స్పీకర్స్ ద్వారా ఓం కారం లాంటి చాంటింగ్స్ వస్తుంటాయి)
గణాంకాలు
జనాభా (2011) - మొత్తం 4,316 - పురుషుల సంఖ్య 2,140 - స్త్రీల సంఖ్య 2,176 - గృహాల సంఖ్య 1,304
2001 వ.సంవత్సరం జనాభా లెక్కల ప్రకారం గ్రామ జనాభా 3748.[1] ఇందులో పురుషుల సంఖ్య 1880, మహిళల సంఖ్య 1868, గ్రామంలో నివాస గృహాలు 1009 ఉన్నాయి.
విద్యా సౌకర్యాలు
గ్రామంలో ప్రభుత్వ ప్రాథమిక పాఠశాలలు మూడు, ప్రభుత్వ ప్రాథమికోన్నత పాఠశాలలు రెండు, ప్రభుత్వ మాధ్యమిక పాఠశాల ఒకటి ఉన్నాయి.
సమీప బాలబడి నీలాద్రిపురంలో ఉంది.సమీప ప్రభుత్వ ఆర్ట్స్ / సైన్స్ డిగ్రీ కళాశాల, పాలీటెక్నిక్ పెంటపాడులోను, జూనియర్ కళాశాల, ఇంజనీరింగ్ కళాశాలలు, మేనేజిమెంటు కళాశాల , సమీప వృత్తి విద్యా శిక్షణ పాఠశాల, అనియత విద్యా కేంద్రం , తాడేపల్లిగూడెంలోనూ ఉన్నాయి. సమీప వైద్య కళాశాల దివ్యాంగుల ప్రత్యేక పాఠశాల ఏలూరు లోనూ ఉన్నాయి.
వైద్య సౌకర్యం
ప్రభుత్వ వైద్య సౌకర్యం
ఒక సంచార వైద్య శాలలో డాక్టర్లు లేరు. ముగ్గురు పారామెడికల్ సిబ్బంది ఉన్నారు. సమీప ప్రాథమిక ఆరోగ్య ఉప కేంద్రం గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. పశు వైద్యశాల గ్రామం నుండి 5 కి.మీ. లోపు దూరంలో ఉంది. ప్రాథమిక ఆరోగ్య కేంద్రం గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. సమీప సామాజిక ఆరోగ్య కేంద్రం, మాతా శిశు సంరక్షణ కేంద్రం, టి. బి వైద్యశాల గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరంలో ఉన్నాయి. అలోపతి ఆసుపత్రి, ప్రత్యామ్నాయ ఔషధ ఆసుపత్రి, డిస్పెన్సరీ, కుటుంబ సంక్షేమ కేంద్రం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ. కంటే ఎక్కువ దూరలో ఉన్నాయి.
ప్రైవేటు వైద్య సౌకర్యం
గ్రామంలో 3 ప్రైవేటు వైద్య సౌకర్యాలున్నాయి. డిగ్రీ లేని డాక్టర్లు ముగ్గురు, ఒక నాటు వైద్యుడు ఉన్నారు. ఒక మందుల దుకాణం ఉంది.
తాగు నీరు
గ్రామంలో కుళాయిల ద్వారా రక్షిత మంచినీటి సరఫరా జరుగుతోంది. బావుల నీరు కూడా అందుబాటులో ఉంది. చెరువు ద్వారా గ్రామానికి తాగునీరు లభిస్తుంది.
పారిశుధ్యం
గ్రామంలో భూగర్భ మురుగునీటి వ్యవస్థ ఉంది. మురుగునీరు బహిరంగ కాలువల ద్వారా కూడా ప్రవహిస్తుంది. మురుగునీటిని నేరుగా జలవనరుల్లోకి వదులుతున్నారు. గ్రామంలో సంపూర్ణ పారిశుధ్య పథకం అమలవుతోంది. సామాజిక మరుగుదొడ్డి సౌకర్యం ఉంది. ఇంటింటికీ తిరిగి వ్యర్థాలను సేకరించే వ్యవస్థ లేదు. సామాజిక బయోగ్యాస్ ఉత్పాదక వ్యవస్థ లేదు. చెత్తను వీధుల పక్కనే పారబోస్తారు.
సమాచార, రవాణా సౌకర్యాలు
వీరంపాలెంలో సబ్ పోస్టాఫీసు సౌకర్యం ఉంది. పోస్టాఫీసు సౌకర్యం గ్రామానికి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. పోస్ట్ అండ్ టెలిగ్రాఫ్ ఆఫీసు గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది. లాండ్ లైన్ టెలిఫోన్, పబ్లిక్ ఫోన్ ఆఫీసు, మొబైల్ ఫోన్ మొదలైన సౌకర్యాలు ఉన్నాయి. ఇంటర్నెట్ కెఫె / సామాన్య సేవా కేంద్రం, ప్రైవేటు కొరియర్ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి. గ్రామానికి సమీప ప్రాంతాల నుండి ప్రభుత్వ రవాణా సంస్థ బస్సులు తిరుగుతున్నాయి. సమీప గ్రామాల నుండి ఆటో సౌకర్యం కూడా ఉంది. వ్యవసాయం కొరకు వాడేందుకు గ్రామంలో ట్రాక్టర్లున్నాయి. ప్రైవేటు బస్సు సౌకర్యం, రైల్వే స్టేషన్ మొదలైనవి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి. జిల్లా రహదారి గ్రామం గుండా పోతోంది. ప్రధాన జిల్లా రహదారి గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. జాతీయ రహదారి, రాష్ట్ర రహదారి గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి. గ్రామంలో తారు రోడ్లు, కంకర రోడ్లు, మట్టిరోడ్లూ ఉన్నాయి.
మార్కెటింగు, బ్యాంకింగు
గ్రామంలో స్వయం సహాయక బృందం, పౌర సరఫరాల కేంద్రం ఉన్నాయి. వాణిజ్య బ్యాంకు, సహకార బ్యాంకు గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉన్నాయి. వారం వారం సంత గ్రామం నుండి 5 నుండి 10 కి.మీ. దూరంలో ఉంది. ఏటీఎమ్, వ్యవసాయ పరపతి సంఘం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి. రోజువారీ మార్కెట్, వ్యవసాయ మార్కెటింగ్ సొసైటీ గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి.
ఆరోగ్యం, పోషణ, వినోద సౌకర్యాలు
గ్రామంలో సమీకృత బాలల అభివృద్ధి పథకం, అంగన్ వాడీ కేంద్రం, ఇతర పోషకాహార కేంద్రాలు, ఆశా కార్యకర్త ఉన్నాయి. గ్రామంలో వార్తాపత్రిక పంపిణీ జరుగుతుంది. అసెంబ్లీ పోలింగ్ స్టేషన్, జనన మరణాల నమోదు కార్యాలయం ఉన్నాయి. ఆటల మైదానం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉంది. సినిమా హాలు, గ్రంథాలయం, పబ్లిక్ రీడింగ్ రూం గ్రామం నుండి 10 కి.మీ.కి పైబడిన దూరంలో ఉన్నాయి.
విద్యుత్తు
గ్రామంలో గృహావసరాల నిమిత్తం విద్యుత్ సరఫరా వ్యవస్థ ఉంది. రోజుకు 7 గంటల పాటు వ్యవసాయానికి, 18 గంటల పాటు వాణిజ్య అవసరాల కోసం కూడా విద్యుత్ సరఫరా చేస్తున్నారు.
భూమి వినియోగం
వీరంపాలెంలో భూ వినియోగం కింది విధంగా ఉంది:
వ్యవసాయేతర వినియోగంలో ఉన్న భూమి: 110 హెక్టార్లు
శాశ్వత పచ్చిక ప్రాంతాలు, ఇతర మేత భూమి: 46 హెక్టార్లు
తోటలు మొదలైనవి సాగవుతున్న భూమి: 4 హెక్టార్లు
వ్యవసాయం చేయదగ్గ బంజరు భూమి: 84 హెక్టార్లు
సాగులో లేని భూముల్లో బీడు భూములు కానివి: 18 హెక్టార్లు
బంజరు భూమి: 210 హెక్టార్లు
నికరంగా విత్తిన భూమి: 716 హెక్టార్లు
నీటి సౌకర్యం లేని భూమి: 399 హెక్టార్లు
వివిధ వనరుల నుండి సాగునీరు లభిస్తున్న భూమి: 546 హెక్టార్లు
నీటిపారుదల సౌకర్యాలు
వీరంపాలెంలో వ్యవసాయానికి నీటి సరఫరా కింది వనరుల ద్వారా జరుగుతోంది.
బావులు/బోరు బావులు: 546 హెక్టార్లు
ఉత్పత్తి
వీరంపాలెంలో ఈ కింది వస్తువులు ఉత్పత్తి అవుతున్నాయి.
ప్రధాన పంటలు
వరి, చెరకు
మూలాలు
మూలాలు, వనరులు
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%B5%E0%B1%80%E0%B0%B0%E0%B0%82%E0%B0%AA%E0%B0%BE%E0%B0%B2%E0%B1%86%E0%B0%82%20%28%E0%B0%A4%E0%B0%BE%E0%B0%A1%E0%B1%87%E0%B0%AA%E0%B0%B2%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B0%BF%E0%B0%97%E0%B1%82%E0%B0%A1%E0%B1%86%E0%B0%82%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
479,
1037,
2010,
2694,
2957,
3222,
3282
],
"plaintext_end_byte": [
478,
1022,
2002,
2693,
2956,
3207,
3272,
3311
]
} | 세상에서 가장 큰 사막은 어디인가? | 살라르 데 우유니 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
살라르 데 우유니(Salar de Uyuni) 또는 살라를 데 투누파(Salar de Tunupa)는 볼리비아에 있는 건조 호수로, 그 넓이가 10,582[1] km²에 이른다. 이 사막은 3,650m 높이의 안데스 영봉과 가까운 볼리비아 남서부 포토시 주와 오루로 주에 자리잡고 있다. 사막 가운데에는 선인장으로 가득 찬 '물고기 섬(Isla Incahuasi)'이 있다. 이 곳에서 나는 주요 광물로는 암염과 석고가 있다.
살라르 데 우유니는 '세상에서 가장 큰 거울'이라고 불리며, 낮에는 푸른 하늘과 구름이 사막에 투명하게 반사되어 절경을 이루고 밤에는 하늘의 별이 호수 속에 들어 있는 듯한 장관을 연출해 해마다 방문객이 증가하고 있다. 하늘의 모습이 그대로 소금 호수물에 마치 끝없이 넓게 투영되어 반사되기 때문에 하늘 속에 머무는 모습을 연출하며, 이러한 놀라운 장관은 세계적으로 사진 풍경등으로 유명하다.[2]
형성 과정
지각 변동으로 솟아올랐던 바다가 빙하기를 거쳐 2만 년 전 녹기 시작하면서 이 지역에 거대한 호수가 만들어졌는데, 이 후 건조한 기후로 물이 모두 증발하고 소금 결정만 남으며 발생했다. 특히 산악 주변의 분지형 지역 이루어 바다가 빠져나기지 못했기 때문에 넓은 호수가 증발되어 염해와 암염이 형성되었다 특히 강수량이 낮고, 물의 증발 양이 높아 바닷물 보다 10배 높은 농도이며, 비가 온 우기 뒤에도, 12~3월에는 20~30cm의 물이 고여 얕은 소금 호수의 수심을 이루며, 호수는 거의 넓고 평평한 염암 위에 이루어진다.
특히 소금 호수의 표면에서 칼슘, 마그네슘등 안데스산맥에서 유입된 광물질등 과 소금물의 부력 때문에 염화나트륨(소금) 결정이 곧바로 가라 앉지 않고, 피라미드 모양의 결정체를 형성하다 가라앉는다.
자원
소금 총량은 최소 100억 톤으로 추산되며, 두께는 1m에서 최대 120m까지 층이 다양하다. 이 지역의 사람들은 오랜 전부터 소금을 채굴하며 생필품과 교환하는 등 중요한 교역수단이었으나, 지금은 정부로부터 인가를 받은 회사에서 정제용으로 만들어 국내소비에 충당할 뿐 지역민들은 거의 채취하지 않는다. 채취된 소금은 90% 이상이 식용이고, 나머지는 가축용이다. 순도도 매우 높고, 총량으로 볼 때 볼리비아 국민이 수천 년을 먹고도 남을 만큼 막대한 양이라고 한다. 또한 소금의 질과 맛도 좋은 평가를 받고 있다.
살라르 데 우유니는 세계 리튬 매장량의 절반을 보유하고 있다. 리튬은 휴대전화, 노트북, 전기자동차 등에 사용되는 리튬 전지의 주원료이다. 2009년 기준으로 리튬 생산은 아직 이뤄지지 않고 있다.
한국광물자원공사는 볼리비아 코미볼사와 리튬광 개발에 필요한 기술을 연구하고 그 성과에 따라 개발과 채굴 등의 투자기회에 대해 우선권을 부여받기로 하는 양해각서를 체결하였다.
[3]
관련 사진
일출이 비치는 살라르 데 우유니.
각주
분류:볼리비아의 지리 | https://ko.wikipedia.org/wiki/%EC%82%B4%EB%9D%BC%EB%A5%B4%20%EB%8D%B0%20%EC%9A%B0%EC%9C%A0%EB%8B%88 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
650,
953,
1247,
1743,
1960,
2468,
3234,
3908,
4517,
4684,
5425,
6062,
6525,
7746,
8026,
8213,
8912,
9741,
9943,
10373,
10759,
10833,
10951,
11039,
11304,
11686,
12105,
12276,
12362,
12537,
12938,
13095,
13330,
13519,
13723,
14012,
14169,
14390,
14621,
15319,
15591,
16212,
16743,
17094,
17994,
18515,
19303,
19862,
21249,
21644,
22307,
22545,
22669,
23250,
23640,
24396,
25772,
26310,
26448,
26556,
27072,
27359,
27760,
28975,
30461,
30875,
31589,
31849,
32356,
32618,
33098,
33396,
33842,
34556,
34687,
35216,
35700,
36716,
37483,
37613,
38089,
38379,
38693,
39137,
39274,
39612,
40173,
40356,
40723,
41022,
41938,
42022,
42118,
42778,
43068,
43290,
43443,
43835,
44338,
45163,
45626,
46210,
46720,
47427,
47918,
48087,
48194,
48357,
48474,
48571,
49308,
50458,
50595,
50876,
51167,
51345,
51659,
52533,
52607,
52945,
53195,
53363,
53696
],
"plaintext_end_byte": [
649,
947,
1246,
1742,
1942,
2451,
3199,
3907,
4516,
4683,
5424,
6022,
6524,
7725,
8008,
8212,
8886,
9740,
9942,
10346,
10758,
10832,
10950,
11038,
11303,
11685,
12067,
12275,
12361,
12536,
12937,
13094,
13329,
13518,
13722,
14011,
14168,
14389,
14603,
15318,
15574,
16196,
16713,
17093,
17993,
18503,
19276,
19837,
21231,
21630,
22306,
22544,
22668,
23219,
23639,
24370,
25771,
26292,
26436,
26490,
27041,
27358,
27687,
28974,
30412,
30874,
31588,
31832,
32335,
32617,
33097,
33395,
33816,
34555,
34686,
35202,
35633,
36700,
37482,
37612,
38063,
38378,
38658,
39136,
39273,
39583,
40172,
40332,
40722,
41021,
41937,
42021,
42076,
42777,
43067,
43289,
43442,
43820,
44337,
45162,
45625,
46209,
46683,
47413,
47917,
48086,
48193,
48356,
48473,
48543,
49298,
50457,
50594,
50875,
51166,
51344,
51649,
52532,
52594,
52934,
53185,
53353,
53668,
53909
]
} | Milloin Isis erosi Al-Qaidasta? | Isis (järjestö) | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
701
],
"minimal_answers_end_byte": [
717
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Isis, myös ISIS ja IS ( (IS), , ’’ad-daula al-islāmiyya’’, Islamilainen valtio) tai ISIL ja Daesh on pohjoisessa Irakissa ja Syyriassa toimiva jihadistijärjestö. Isis hallitsi osia Syyriasta ja Irakista vuosina 2014–2017. Järjestö perusti 29. kesäkuuta 2014 alueelle islamilaiseen šaria-lakiin pohjautuvan kalifaatin. Järjestöä johtaa kalifiksi nimitetty Abu Bakr al-Baghdadi. Pyhää sotaa käyvän Isisin perusta on salafismissa ja wahhabismissa. Isis tunnetaan maailmalla vastustajien julmasta kohtelusta ja terrorismista. Monet maailman valtiot pyrkivät kukistamaan Isisin, koska pitävät sitä maailmanlaajuisena uhkana.
Aiemmin al-Qaidaan kuulunut Isis erosi al-Qaidasta helmikuussa 2014[1] ja julistautui ”Islamilaiseksi valtioksi” ja kalifaatiksi. Isis menetti vuosina 2016–2017 tuntuvasti alueitaan. Joulukuussa 2017 sen Irakissa ja Syyriassa valtaamat alueet oli vallattu takaisin lähes kokonaan Isisiltä.
Nimi
Nimi Isis on lyhenne englanninkielisestä nimestä the ”Islamic State in Iraq and Syria”. Yhdysvalloissa on käytetty myös nimeä ISIL</b>joka on lyhenne nimestä ”the Islamic State of Iraq and the Levant”. Myös Suomen Suojelupoliisi käyttää viestinnässään ISIL-lyhennettä.[2]
Järjestö ilmoitti 29. kesäkuuta 2014 uudeksi nimekseen Islamilainen valtio (, lyhenne IS), mutta suomen kielessä käytetään useimmiten lyhennenimeäIsis taiISIS. Nimitys”Islamilainen valtio” on yleisviestinnässä hämmentävä, koska se voi johtaa käsitykseen, että on syntynyt uusi kansainvälisesti tunnustettu valtio. Nimitys johtaa harhaan myös siksi, että maailmassa on useita islamilaisia valtioita eli sellaisia valtioita, joiden poliittinen ideologia perustuu islamiin.[3]
Isis-järjestö on uhannut leikata kielen jokaiselta, joka käyttää järjestöstä julkisesti arabiankielistä lyhennenimeä
daesh. Lyhenne muistuttaa arabian kielen sanaa das, "polkea, astua"[4].
Historia
Tausta
Isisin historia alkoi vuonna 1999, kun nuori jordanialainen jihadisti Abu Mus’ab al-Zarqawi matkusti Kandahariin, Afganistaniin tapaamaan al-Qaidan johtajia. Zarqawi halusi lietsoa vallankumousta Irakin ja Syyrian alueella ja tarvitsi tarkoitukseensa rahaa ja kannattajia. Sunnimuslimi Zarqawi inhosi erityisesti shiioja. Osama bin Laden ja muut al-Qaidan johtajat eivät kutsuneet Zarqawia jäsenekseen tämän äärimmäisten näkemysten vuoksi, mutta he aloittivat silti yhteistyön.[5]
Irakin al-Qaida
Talibanin kaaduttua Afganistanissa 2001 Zarqawi pakeni ryhmänsä kanssa Irakiin ja ryhtyi rakentamaan sinne salaista verkostoaan. Zarqawin ryhmä nimeltä ”Yksijumalaisuus ja jihad” alkoi tehdä iskuja maata miehittäneitä yhdysvaltalaisjoukkoja sekä shiioja vastaan. Ryhmä hyväksyttiin al-Qaidaan vuonna 2004, ja näin siitä tuli Irakin al-Qaida.[6] Järjestö hyökkäili Yhdysvaltain johtaman liittouman joukkoja ja irakilaisia siviilejä vastaan räjähtein, itsemurhapommituksin ja panttivankien mestaamisin. He pyrkivät painostamaan ulkomaalaisia joukkoja ja yrityksiä lähtemään Irakista, saamaan irakilaisia lopettamaan Yhdysvaltojen ja Irakin hallituksen tukemisen, sekä houkuttelemaan lisää jäseniä.[7]
Islamilaisen valtion julistaminen
Zarqawi halusi kiihkeästi perustaa islamilaisen kalifaatin, mutta al-Qaidan johto toppuutteli häntä ja kehotti Zarqawia hakemaan ensin kansan tuen ja välttämään liiallisia väkivaltaisuuksia. Zarqawi oli juuri aikeissa julistaa islamilaisen valtion, kun Yhdysvallat surmasi hänet 7. kesäkuuta 2006. Irakin al-Qaida julisti islamilaisen valtion lopulta 15. lokakuuta 2006 ja toteutti näin johtajansa viimeisen toiveen. Nimelliseksi johtajakseen he nimittivät Abu Omar al-Baghdadin, joka oli siihen asti ollut jopa jihadisteille tuntematon.[8] Järjestön todellinen johtaja oli kuitenkin Irakin al-Qaidaa Zarqawin kuoleman jälkeen johtanut Abu Ayyub al-Masri.[9]
Uuden Islamilaisen valtion suhde al-Qaidaan oli aluksi epäselvä, eikä se maininnut emojärjestöään julkisuudessa. Järjestö ilmoitti, että Irakin al-Qaidaa ei enää ollut, vaan se oli osa Islamilaista valtiota.[10] Koska Islamilaisen valtion julistukseen ei ollut kysytty lupaa al-Qaidalta, sen johtajat olivat vihaisia ja pitivät julistusta ennenaikaisena. Al-Qaidan johto ja muut jihadistit olivat myös huolissaan siitä, että Islamilaisella valtiolla ei ollut kansan tukea tai laillista valtaa hallitsemillaan alueilla. Julkisesti al-Qaida kuitenkin tuki Islamilaisen valtion perustamista.[11]
Islamilainen valtio otti käyttöön oman lipun tammikuussa 2007. Se on profeetta Muhammadin musta lippu, jossa on muslimien uskontunnustus ja profeetan sinetti.[12]
Masri osoittautui huonoksi johtajaksi. Hän uskoi maailmanloppuun ja siihen, että Islamilainen valtio olisi ollut todellinen valtio.[13] Islamilainen valtio aiheutti myös siviileihin ja muihin kapinallisiin kohdistuneella väkivaltaisella toiminnallaan arvostelua muiden jihadistien keskuudessa.[14] Järjestö julkaisi maaliskuussa 2007 periaatteet, joita kaikkien Islamilaisen valtion alamaisten on noudatettava. 19 kohdan luettelo kielsi muun muassa kaiken maallisen, määräsi juutalaiset ja kristityt maksamaan suojeluveroa sekä julisti shiiat vääräuskoisiksi. Rangaistukset olivat hyvin ankaria. Samalla järjestö pyrki hoitamaan oikean valtion velvollisuuksia alueellaan, vaikka sillä ei ollutkaan hallussaan kaupunkeja.[15]
Islamilainen valtio menetti kaikki hallitsemansa alueet vuoteen 2010 mennessä. Huhtikuussa Yhdysvallat surmasi järjestön kaksi ylintä johtajaa ja seuraavien kuukausien aikana surmasi tai vangitsi yli 30 lisää. Järjestö valitsi uudeksi johtajakseen Abu Bakr al-Baghdadin.[16] Abu Bakr vakiinnutti aluksi asemansa järjestön johdossa ja alkoi sen jälkeen elvyttää romahtaneen Islamilaisen valtion toimintaa. Järjestö loi strategian, johon kuului esimerkiksi jihadistien yhdistäminen saman ohjelman alle, hallittujen alueiden ihmisten elinolojen parantaminen, sekä mediastrategia.[17]
Laajentuminen Syyriaan ja nimeksi Isis
Järjestö alkoi toimia myös Syyriassa. Siellä se ajautui riitoihin paikallisen haaransa, al-Nusra-kapinallisryhmän kanssa.[18] Huhtikuussa 2013 järjestö otti nimekseen Irakin ja Levantin islamilainen valtio (ISIS) ja ilmoitti al-Nusran olevan osa sitä. Al-Nusra vannoi kuitenkin uskollisuutta al-Qaidalle, joka alkoi vaatia Islamilaista valtiota vetäytymään Syyriasta. Helmikuussa 2014 al-Qaida katkaisi julkisesti suhteensa Islamilaiseen valtioon.[19]
Vuoden 2014 alkupuolella Isis vakiinnutti otteensa Itä-Syyriasta ja oli hankkinut jo valtavan sotakassan valloittamistaan öljykentistä, veroista ja sotasaaliista. Al-Nusran taistelijat ja ulkomaalaiset taistelijat liittyivät siihen tuhansittain. Syyrian hallitsija Bašar al-Assad oli jättänyt Isisin rauhaan, sillä se uhkasi Assadin omia vastustajia.[20] Myöskään kansainvälinen yhteisö ei puuttunut vielä vuosina 2012–2014 Isisin kasvuun, mikä edesauttoi sen laajenemista ja vahvistumista.[21] Esimerkiksi Ulkopoliittisen instituutin ohjelmajohtaja Mika Aaltolan mukaan Barack Obaman haluttomuus puuttua Syyriaan tuki Isisin nousua.[22]
Yhdysvalloissa on ollut tiettyä haluttomuutta puuttua Isisin toimiin Syyriassa. Esimerkiksi arvovaltaisen, demokraatteja lähellä olevan The New York Timesin ulkomaankolumnisti Thomas Friedman on vuonna 2015 ehdotellut aseiden toimittamista Isisille ja kyseenalaistanut presidentti Trumpin toimet järjestöä vastaan Syyriassa. Tämän logiikan takana on se, että Isis taistelee Syyrian hallitusta, Iranin joukkoja, Hizbollahia ja Venäjää vastaan. Friedman vertaa Isisiä Afganistanin mujahideeneihin, joita USA tuki 1980-luvulla.[23][24]
Kalifaatin julistus
Kesäkuussa 2014 Isis valloitti Mosulin kaupungin ilman suurta vastarintaa ja dominoi näin Mosulista Syyrian Aleppoon ulottuvaa aluetta. Kesäkuun lopulla järjestö julisti islamilaisen kalifaatin, jonka kalifi oli järjestön johtaja Abu Bakr al-Baghdadi.[25]
Aluevalloitukset
Isis hallitsi kesällä 2014 noin 40000 neliökilometrin eli noin Belgian kokoista aluetta Irakissa ja Syyriassa. Isisin hallitsemalla alueella asuu arviolta 8 miljoonaa henkilöä.[26]
Isis laajensi aluettaan Syyriassa merkittävästi vuonna 2013, ja valvoi vuoden 2014 puolivälissä suurta osaa Syyrian kapinallisalueista. Irakissa Isis on maahyökkäysten lisäksi tehnyt monia pommi-iskuja šiioja vastaan. Muutamasta sadasta koostuva ryhmä on kasvanut vuosien varrella melko nopeasti ja on kouluttanut monia ulkomaalaisia taistelijoiksi. Eri arvioiden mukaan Isisillä olisi ainakin 5000 ja ehkä jopa kymmeniä tuhansia taistelijoita. Vuoden 2014 Irakin kriisissä Isis pyrki kesäkuun alussa valtaamaan Bagdadin[27] ja saamaan Irakin valtansa alle. Isis saikin valvontaansa Karman kaupungin, taisteli Baqubassa ja toimi aivan Bagdadin laidoilla[28].
Taistelut kurdien kanssa
Syyskuusta 2014 lähtien Syyrian pohjoisosassa oli käynnissä Kobanên taistelu, jossa Isis piiritti ja yritti vallata Syyrian Kurdistanissa sijaitsevaa Kobanên kaupunkia. Kaupungin strateginen merkitys Isisille oli kuitenkin kyseenalainen. Neljän kuukauden taistelujen päätteeksi kurditaistelijat pakottivat Isisin vetäytymään tammikuussa. Taisteluilla oli tärkeä symbolinen merkitys kurdeille, sillä se yhdisti hajanaiset kurdiryhmät. Syrian Observatory for Human Rights -järjestö arvioi, että jopa kaksituhatta Isis-taistelijaa kaatui Kobanêssa.[29] Samaan aikaan kun länsimaiden huomio keskittyi Kobanêen lähellä NATO-maa Turkin rajaa, Isisin joukot valtasivat lähes kokonaisuudessa Irakin Anbarin maakunnan ja etenivät Abu Ghraibiin,[30] joka on piirikunta ja kaupunki Bagdadin maakunnan länsiosassa.
15. marraskuuta 2014 Irakin hallituksen joukot valtasivat takaisin Baijin kaupungin 250 kilometriä Bagdadin pohjoispuolella, murtaen Isisin kuukausia jatkuneen saarron öljyjalostamon ympäriltä.[31]
Joulukuun 2014 lopulla Irakin kurdien peshmerga-taistelijat valtasivat Isisiltä osan strategisesti merkittävää Sinjarin kaupunkia. Tammikuun lopussa Irak ilmoitti vapauttaneensa Diyalan maakunnan Isisin hallinnasta. Syyrian hallituksen joukot valtasivat Isisiltä Deir al-Zorin maakunnan alueita ja kurdijoukot valtasivat Isisiltä alueita Koillis-Syyrian Hasakassa Irakin rajan läheisyydessä.[29]
Isisin alue laajimmillaan
Helmikuun alussa 2015 Yhdysvaltain johtama kansainvälinen liittouma oli onnistunut pysäyttämään Isisin laajenemisen. Järjestö on joutunut perääntymään osassa valtaamiaan alueita. Yhdysvaltain tietojen mukaan taisteluissa on surmattu elokuusta 2014 tammikuuhun 2015 mennessä yhteensä noin 6000 Isisin jihadistia ja jopa puolet Isisin ylimmistä komentajista on kuollut.[29]
Isis ilmoitti soluttaneensa Eurooppaan 4000 taistelijaa tammikuussa 2015.
Isis eteni huhtikuussa 2015 lähelle Damaskosta[32], ja taisteli Jarmukin pakolasileirissä palestiinalaisten kanssa.
17. toukokuuta 2015 ISIS valtasi Irakin Anbarinin maakunnan pääkaupungin Ramadin.[33]
22. toukokuuta järjestö oli ottanut haltuunsa Syyriassa Palmyran kaupungin. Isisin pelättiin tuhoavan alueen arkeologisen kohteen, kuten se oli tehnyt muinaismuistoille Irakissa. Se sai haltuunsa myös viimeisen Irakin–Syyrian rajanylityspaikan Tunefissa.[34]
Yli sata ihmistä kuoli, kun Isisin joukot hyökkäsivät 1. heinäkuuta 2015 useita sotilaallisia tarkastusasemia ja poliisikohteita vastaan Egyptin Siinailla. Isisin egyptiläinen haara Siinain provinssi on ilmoittanut olevansa vastuussa iskuista.[35] Yli 60 islamistikapinallista kuoli Egyptin armeijan ilmaiskuissa ja maaoperaatioissa Pohjois-Siinailla 5. heinäkuuta 2015.[36]
Libyan kansainvälisesti tunnustettu hallitus pyysi elokuussa 2015 arabimaita tekemään ilmaiskuja Isisiä vastaan Sirten rannikkokaupungissa. Yhdysvallat, Ranska, Saksa, Britannia, Italia ja Espanja tuomitsivat lausunnossaan Isisin teot Sirtessä, niiden tietojen mukaan Isis on tulittanut tiuhaan asuttuja alueita sekä terrorisoinut väestöä summittaisella väkivallalla.[37]
Isis tappiolle Syyriassa ja Irakissa
Yhdysvallat ilmoitti surmanneensa 18. elokuuta 2015 ilmaiskussa Irakissa Isisin kakkoskomentajan Fadhil Ahmad al-Hayalin, joka tunnettiin myös nimellä Hajji Mutazz.[38]
Samassa kuussa maa ilmoitti onnistuneista ilmaiskuista järjestön asevarikoihin[39].
Venäjän syyskuussa 2015 aloittamat ilmaiskut kohdistuivat myös Isisiin. Toisaalta ne hyödyttivät järjestöä, kun ne kohdistuivat enimmäkseen muihin kapinallisiin[40].
Marraskuussa 2015 kurdit valtasivat Isisiltä Yhdysvaltain ilmatuen turvin Sinjarin, jolloin Isisin huoltotie Mosulin ja Raqqan välillä katkesi.[41] Isis menetti joulukuun lopussa Ramadin kaupungin Irakissa.[39] Isis alensi Raqqassa olevien taistelijoidena palkkoja puolella.[42] Syyrian hallitus käänsi sotatoimensa helmikuussa enemmän Isisiä vastaan, minkä järjestö kosti pommi-iskuin.[43]
Isis kosti kärsimänsä tappiot pommi-iskuin myös Irakin ja Syyrian ulkopuolella. Isis teki vuosina 2015-2016 iskut Pariisissa, Ankarassa ja Brysselissä.
Venäjän ilmaiskujen avulla Syyrian armeija valtasi Palmyran takaisin Isisiltä[44] 25. maaliskuuta 2016. Yhdysvaltalaiset surmasivat Isisin kakkosmiehen[45]. Isis menetti huhtikuussa 2015 merkittävän huoltoreittinsä Turkkiin.[46]
Huhtikuussa 2016 Isisin oli sotilasvoima alimmillaan kahteen vuoteen[47]. Järjestöllä oli kasvavia rahoitusvaikeuksia[48], ja monetkaan arabinuoret eivät uskoneet Isisin voittavan[49].
Toukokuun puolivälissä 2016 Isis valvoi enää puolta niistä alueista, jotka oli aiemmin vallannut irakissa[50]. Mutta Isis oli saanut jalansijaa hajanaisessa, sisällissodan repimässä Libyassa[51].
Kesäkuun alussa 2016 Syyrian armeija, kurdit ja muut kapinalliset olivat etenemässä kohti Isisin pääkaupunki Raqqaa.[52] Isis oli joutunut tappiolle, mutta se oli yhä taistelukykyinen. Isis oli saarrettu Fallujassa,[44] joka oli ollut merkittävä sunnikapinakaupunki vuodesta 2003.
Isisin odotettiin puolustavan kiivaasti Mosulia ja Fallujaa. Syyrian armeija vangitsi 4. kesäkuuta
"Puskutraktorin", jättimäisen Isisin teloittajan[53].
Isisin toiseksi nimekkäin henkilö, päätiedottaja Abu Muhammed al-Adnani surmattiin Aleppossa Syyriassa elokuun lopussa 2016. Hänen surmaamisestaan ilmoittivat olevansa vastuussa sekä Yhdysvallat että Venäjä.[54]
Syyrian kapinalliasrmeija FSA:n joukot valtasivat 15. lokakuuta Turkin tuella Dabiqin pikkukaupungin. Isis sanoo kaupunkia tiedotuksessaan viimeisen taistelun käymispaikaksi Muhammedin ennustuksen mukaisesti[55].
Mosulin taistelu
Irakin armeija, puolisotilaalliset joukot ja kurdien taistelijat hyökkäsivät Isisin valvomaan Mosuliin 17. lokakuuta 2016[56][57]. Kurdien peshmergat ja Irakin erikoisjoukot etenivät kaupungin itälaidalle parissa viikossa[58]. Yhdysvaltain ja Irakin ilmavoimat auttoivat Irakin ja kurdien maajoukkoja. Isis otti suuren määrän siviilejä ihmiskilviksi. Ankarasta vasarinnasta huolimatta Irakin asejoukot valtasivat muutamassa kuukaudessa kaupungin länsiosan. Vuoden 2017 kevättalvella Irak hyökkäsi myös Mosulin länsipuoliskossa. Ainakin tuhat Irakin sotilasta, tuhansia Isis-taistelijoita ja noin 8000 siviiliä kuoli taisteluissa. Näitä pakeni Mosulista noin 700000 siviiliä.
Isis sinnitteli pitkään vanhassa kaupungissa, mutta kesällä 2017 puolustus luhistui sielläkin. Lokakuussa 2017 Irak valtasi läheisen Hawijan. Koska johtajat olivat hylänneet Isis-taistelijat ja heiltä ruoka lopussa, heitä antautui sadoittain[59].
Raqqan taistelu
Irakin armeija valtasi Hawijan kaupungin takaisin Isisiltä – YK: kymmeniätuhansia siviilejä edelleen loukussa
Isisiä vastustavat Syyrian kapinalliset hyökkäsivät marraskuun alussa kohti Isisin pääkaupunkia Raqqaa.[60][61] Seuraavina kuukausina kurdi- ja arabijoukot etenivät kohti Raqqaa eri puolilla. Itse Raqaan joukot saapuivat touko-kesäkuussa. Juhannuksen aikoihin Isis oli motissa myös Raqqassa, ja pääkaupunki siirretty Irakin ja Syyrian rajalle. Samaan aikaan Syyrian armeijan joukot valtasivat Isisiltä alueita[62]. Isis menetti pahoin raunioituneen Raqqan 17. lokakuuta 2017.
Isisin häviö
Syyrian ja Irakin kurdijoukot jatkoivat loka-marraskuuta hyökkäyksiään Isisin alueelle eri tahojen ilmavoimien tuella. 3. marraskuta luhistui Syyrian puolella deir Ez-Zorin ja Irakin puolella aivan rajan tuntumassa sijainnut al-Qaimin kaupunki[63][64][65]. Tämä enteili Isisin luhistumista tai painopisteen siirtymistä Irakin ja Syyrian kalifaatista terrorismiin ja
mahdollisesti muille maailman alueille. Irakin pääministeri julisti joulukuussa 2017 sodan Isisiä vastaan päättyneeksi.[66]
Ideologia
Perusta Koraanissa
Isisin ideologia perustuu sunni-islamilaiseen wahhabismiin, joka painottaa Koraanin kirjaimellista tulkintaa ilman asiayhteyden huomioimista.[67] Se syntyi Arabiassa 1700-luvulla[67] ja on nykyisin Saudi-Arabian valtauskonto. Isis levittää wahhabilaisia tekstejä ja käyttää hallitsemissaan kouluissa saudiarabialaisia wahhabistisia kirjoja.[68]
Isisin teologian tutkijan, professori Bernard Haykelin mukaan Isisin uskonnollinen ideologia perustuu kokonaisuudessaan kaikkein varhaisimpaan islamiin, missä suhteessa he ovat vielä wahhabistejakin vanhoillisempia. Wahhabisteja on hillinnyt se, että he ovat olleet muiden muslimien ympäröimiä, mutta Isis katsoo kaikkien muidenkin muslimien olevan vääräuskoisia ja kohtelee heitä sellaisina. Isisin sotadoktriinit on otettu sellaisinaan Koraanin jakeiden tulkinnoista ja profeetta Muhammadin ajan ensimmäisistä valloitussodista. Näihin varhaisiin sodan normeihin kuuluivat orjuuttaminen, ristiinnaulitsemiset, mestaukset ja vääräuskoisten alistaminen. Isis on palauttanut käyttöön tällaisia varhaisissa teksteissä säädettyjä ankaria käytäntöjä, jotka islamista katosivat myöhemmin ja joita nykyajan maltilliset muslimit eivät pidä enää oleellisina uskonnossaan.[69]
Isisin johtajat ovat hyvin perehtyneitä Koraaniin sekä haditheihin ja niiden keskiaikaisiin tulkintoihin, jotka muodostavat hyvin laajan kokonaisuuden. Kalifi itse on koraanintutkimuksen tohtori. Isisin oppineet valitsevat ristiriitaisista pyhistä kirjoituksista omaan ideologiaansa ja strategiaansa sopivat, väkivallan oikeuttavat kohdat, ja he pyrkivät kiertämään rauhaan ja sopuun kehottavat kohdat. Isisin rivisotilaat sen sijaan eivät useinkaan tunne islamin pyhiä kirjoituksia kovin hyvin.[70]
Apokalypsi
Isis eroaa muista jihadistisuuntauksista myös siinä, että sen ideologiassa apokalypsilla on suuri merkitys.[67] Isis korostaa propagandassaan "päivien loppua", jossa "Rooma" marssittaa armeijansa tappiollisesti islamin armeijaa vastaan Syyrian Dabiqissa, minkä jälkeen muslimit valloittavat Istanbulin. Sen jälkeen Iranista saapunut anti-Messias Dajjal kuitenkin ahdistaa muslimiarmeijan rippeet islamin takaisin valloittamaan Jerusalemiin. Sinne profeetta Jeesus viime hetkellä saapuu johtamaan muslimit voittoon. Isis onkin valloittanut Dabiqin kaupungin ja sanoo propagandassaan nyt odottavansa siellä vihollistaan. Koska paavilla ei enää ole armeijaa, "Roomaksi" voidaan käsittää mikä tahansa vääräuskoisten armeija, kuten Yhdysvallat.[69]
Vääräuskoisten kohtelu
Siinä missä al-Qaidan tavoite on ollut uskostaan luopuneiden muslimivaltioiden ja -yhteiskuntien palauttaminen ruotuun väkivallan avulla, wahhabistit ovat perinteisesti kannattaneet vääräuskoisten surmaamista. Isisin mukaan islamistijärjestöt kuten al-Qaida ja Hamas ovat liian maltillisia. Isisin mukaan Jumalan käskyt tulee toteuttaa välittömästi eikä pitkän ajan kuluessa. Isisin ideologian mukaan kaikki maallista tai vaaleilla valittua hallintoa tukevat islamistit ovat vääräuskoisia ja ansaitsevat kuoleman.[68]
Kalifaatin perustaminen
Isis pyrkii perustamaan kalifaatin, jollainen muslimeilla oli vuosina 632–661. Tuolloin hallinneiden kalifien aikana islam levisi vaatimattomista lähtökohdista nykyisen Iranin kaukaisemmilta alueilta nykyisen Libyan rannikolle. Isisin tavoitteena on levittää valtaansa, ensin Jordaniaan, Palestiinaan ja Libanoniin, ja lopulta koko islamilaiseen maailmaan.[71] Isis on ottanut kalifaatin perustamisen kirjaimellisesti, toisin kuin Egyptin Muslimiveljeskunta ja al-Qaida, joille kalifaatti on joko hengellinen idea tai vasta kaukaisen tulevaisuuden tavoite. Isisin armottoman väkivallan ja itsejulistetun kalifaatin vuoksi kaikki merkittävät jihadistiteoreetikot ovat tuominneet Isisin vääräoppiseksi.[68] Brittiläisen islamistijohtajan Anjem Choudaryn mukaan Isis on nyt kalifaatin perustettuaan aloittanut velvollisuutenaan olevan hyökkäys jihadin ei-islamilaisiin maihin. Kalifaatti pyrkii kylvämään kauhua viholliseensa brutaaleilla teoilla, jotta voitto nopeutuisi ja konflikti päättyisi. Islamilainen laki ei hyväksy valtioiden rajoja ja sallii vain korkeintaan kymmenen vuoden pituiset rauhansopimukset. Kalifin on käytävä jihadia vähintään kerran vuodessa, tai hän on syntinen. Kalifaatin edustajan lähettäminen esimerkiksi Yhdistyneisiin kansakuntiin on islamilaisessa laissa kiellettyä, sillä Jumala on ainoa auktoriteetti.[69]
Epäjumalankuvat
Isisin salafistisen ideologian mukaan epäjumalat on tuhottava. Siksi Isis hävittää valtaamillaan alueilla islamin aikaa edeltäviä jumalankuvia kuten myös islamilaisia muistomerkkejä ja palvontapaikkoja. Isis pitää myös Muhammadin jälkeen kirjoitettua teologista kirjallisuutta islamiin kuulumattomana ja sitä saastuttavana ja hävittää siksi vanhoja kirjoja.[72][73]
Organisaatio
Isisin ensimmäinen johtaja on kalifiksi julistautunut Abu Bakr al-Baghdadi. Hänellä on kaksi apulaisjohtajaa, joista toinen vastaa Syyriasta ja toinen Irakista. Näiden apulaisjohtajien apuna on ainakin 12 paikallisjohtajaa, jotka raportoivat ylemmille johtajilleen. Moni paikallisjohtajista oli Saddamin aikana sotilasjohtajina, ja he hyödyntävät saamaansa sotilaskoulutusta nyt Isisin palveluksessa. Al-Baghdadin apuna on myös johtajistoneuvosto, jonka jäsenillä on pääsy itse kalifin luo. Nämä neuvonantajat käsittelevät uskonnollisia kiistoja, määräävät teloituksista ja valvovat Isisin oppien toteutumista sen hallitsemilla alueilla.[74]
Joidenkin tietojen mukaan al-Baghdadi loukkaantui vakavasti ilmahyökkäyksessä maaliskuussa 2015, ja hänen tilalleen johtajaksi tuli Abu Alaa al-Afri. Irakin puolustusministeriön mukaan al-Afri kuoli ilmaiskussa toukokuussa 2015.[75]
Isis on luonut hallintoalueelleen tehokkaasti järjestetyn siviilihallinnon, joka hoitaa tavalliset valtion tehtävät.[76]
CIA:n syksyllä 2014 esittämän arvion mukaan Isisin taistelijoiden määrä on 20000 − 31500.[77] Tuoreemman tiedon mukaan arvio saattaa olla liian matala ja Isisin taistelijoiden määrä on luultavasti vähintään 50000 taistelijaa.[78] Isisin riveihin liittyvät taistelijat vannovat valan kalifille. Isisistä "eroaminen" tai karkaaminen ja kotiinpaluun suunnitteleminen rikkoo tätä valaa ja saattaa johtaa teloitukseen. Monet Isikseen lähteneet ovat jääneet järjestön "vangeiksi", sillä eivät voi enää lähteä sen joukoista.[79]
Isisin ulkomaalaistaistelijat
Vuonna 2014 YK:n raportin mukaan ainakin 15000 ihmistä on matkustanut muista maista taistelemaan islamistien joukoissa Syyriassa ja Irakissa. Ulkomaisia taistelijoita on vuoden 2010 jälkeen matkustanut sotimaan yhtä paljon kuin edeltävinä 20 vuotena yhteensä.[77] Vuonna 2015 tehdyn raportin mukaan eri islamistiryhmiin Syyriassa ja Irakissa oli liittynyt jo 25000 ulkomaalaista.[80]
Washington Postin haastattelemien nimettöminä pysytelleiden Yhdysvaltain tiedusteluasiantuntijoiden mukaan Syyriaan matkustaa joka kuukausi noin tuhat ihmistä taistelemaan eri ryhmittymien riveissä. Yhdysvaltain tiedusteluelinten arvion mukaan yli 16000 vapaaehtoista taistelijaa on matkustanut alueelle 80 maasta. Suurin osa tulijoista on Lähi-idästä ja Pohjois-Afrikasta. Suurin vapaaehtoisjoukko on tullut Tunisiasta, noin 3000 taistelijaa. Euroopasta on lähtenyt noin 2000 ihmistä ja Yhdysvalloista runsas sata.[81] Ruotsin turvallisuuspoliisi Säpon marraskuussa 2014 julkaisemien tietojen mukaan jopa 300 Ruotsin kansalaista saattaa taistella Isisin joukoissa, varmoja tapauksia on sata ja varmistamattomia 150.[82]
Isisin suomalaisjäsenet
Elokuussa 2014 suojelupoliisi arvioi että yli neljäkymmentä henkilöä oli lähtenyt Suomesta Syyriaan sota-alueelle. Selvästi eniten lähtijöitä oli mennyt Isis-terroristijärjestön riveihin. 75 prosentilla lähtijöistä oli Suomen kansalaisuus, lähtijöillä oli kuusitoista erilaista etnistä taustaa ja heidän ikänsä oli vaihdellut 18−50 vuoden välillä. Vähän yli parikymppiset muodostavat suurimman ryhmän. Noin 20–30 % lähtijöistä on naisia.[83][84] Suojelupoliisin helmikuussa 2015 julkaisemien tietojen mukaan konfliktialueelle matkustaneita oli jo yli 60. Maaliskuussa 2016 Suomesta oli ulkoministeri Timo Soinin mukaan lähtenyt noin 100 taistelijaa Irakiin ja Syyriaan Isis-terroristijärjestön riveihin. Heistä noin 20 oli kuollut.[85] Huhtikuussa 2018 luku oli 80, joista noin 20 naisia.[84] Lähteneet edustavat 18 eri etnistä taustaa. Mukana on myös lapsia ja kokonaisia perheitä.[86] Suomesta lähteneet naiset ovat synnyttäneet Isiksen alueilla toistakymmentä lasta.[84] Heidän lisäkseen noin 30 lasta on matkustanut alueelle vanhempiensa mukana.[84] Naiset tuottavat myös propagandaa ja rekrytoivat muita naisia.[84] Helsingin ja Tampereen yliopiston tekemän yhteistutkimuksen mukaan keskeisiä syitä lähteä konfliktialueelle ovat kokemukset vihamielisyydestä muslimeja kohtaan ja näkemykset maailmanpolitiikasta.[87]
Taistelualueille lähteneistä on Suojelupoliisin arvion mukaan palannut Suomeen noin 20. Suojelupoliisi myös ennakoi osan lähteneistä naisista palaavan lapsineen Suomeen. Se synnyttää uuden turvallisuuspulman, sillä radikalisoituneiden vanhempien voidaan odottaa kasvattavan lapsiaan islamistisen ideologian mukaisesti. Poliisin tiedossa on, että hyvin pieniä lapsia on kasvatettu kannattamaan terroristijärjestön ideologiaa, koulutettu aseellisesti, jopa pistetty toimeenpanemaan fyysisiä rangaistuksia.[84]
Kuri ja valvonta
Isis valvoo tarkasti kalifaatin elämää ja pitää kovaa kuria. Se vakoilee ihmistä urkkijaverkon[88] ja kameroiden avulla.
Tiedustelu
Isisin tiedusteluyksikkönä toimii Emni.
Toiminta
Toimet vihollissotilaita kohtaan
Sotavangin polttomurha
Isis julkaisi helmikuussa 2015 sadistisen videon, jossa siepattu jordanialainen hävittäjälentäjä poltetaan elävältä. Tämän seurauksena tuhannet ihmiset marssivat Jordaniassa Isisiä vastaan. Jordania käynnisti pian rajut ilmapommitukset Isisiä vastaan ja sanoi, että kostoisku on vasta alussa. Jopa terroristiverkosto al-Qaidan toimintaa inspiroinut jordanialainen jihadistisaarnaaja Abu Mohammad al-Maqdisi totesi, ettei "mikään uskonto hyväksy" Isisin julmuuksia.[29]
Kemiallisten aseiden käyttö
Lokakuussa 2014 uutisoitiin että Isis on käyttänyt kloorikaasua Irakin armeijaa vastaan. Washington Post -lehden mukaan tiedon olivat vahvistaneet irakilaissotilaita hoitaneet lääkärit sekä Irakin turvallisuusministeriön virkamies. Yhdysvallat ilmoitti tutkivansa asiaa.[89][90]
Irakin Kurdistanin edustajat tiedottivat lokakuussa 2015, että Isis olisi käyttänyt kranaatti-iskuissaan sinappikaasua Pohjois-Irakin peshmergataistelijoita vastaan elokuussa 2015 käydyissä yhteenotoissa. Uutisen mukaan kemiallisen aseen käyttö olisi varmennettu haavoittuneista taistelijoista otetuilla verikokeilla.[91]
Toimet vääräuskoisiksi ja vihollisiksi katsottuja siviilejä kohtaan
Valtaamillaan alueilla Isis pitää tiukkaa šaria-lain mukaista kuria ja tunkeutuu ihmisten koteihin tarkistamaan, että siellä eletään islamin periaatteiden mukaan. Järjestö kohtelee vastustajiaan ankarasti, surmaa, vangitsee, kiduttaa, kiristää suojelurahaa ja nöyryyttää. Isis ilmoittaa luovansa oikeamielisen islamilaisen valtion, joka on parempi kuin aiemmat valtiot.[92] Määräyksiä toimeenpanee Isisin "moraalipoliisi", joka on määrännyt ruoskimisia ja amputaatioita muun muassa sellaisista rikoksista kuin tupakointi tai varkaus. Varkailta on katkaistu käsiä ja tupakoijilta sormia. YK:n raportin mukaan kolmetoista teinipoikaa on tuomittu kuolemaan jalkapallo-ottelun seuraamisesta.[93] Miehiä on ruoskittu julkisilla paikoilla, tapauksissa joissa he ovat esiintyneet naisten kanssa, joiden pukeutumista Isis on pitänyt sopimattomana. Miehiä on myös ruoskittu perjantairukousten laiminlyönnistä ja kaupankäynnistä rukoushetkien aikana. Lapsia on painostettu ilmiantamaan vanhempiaan ja naisia on teloitettu tapauksissa, joissa he ovat olleet yhteyksissä miehiin, joita Isis ei hyväksy. Lapsia on myös altistettu seuraamaan julkisia teloituksia ja silpomisia toreilla.[94][95]
YK:n raportin "Terrorin säännöt - elämää Isiksen vallan alla Syyriassa" mukaan Isis on syyllistynyt massiivisiin sotarikoksiin ja rikoksiin ihmisyyttä vastaan Syyriassa. Raportin mukaan Isis syyllistyy muun muassa verilöylyihin, teloituksiin ja seksiorjuutukseen. Naisia myös saatetaan raskaaksi vastoin heidän tahtoaan. Isis on mestannut, ampunut tai kivittänyt miehiä, naisia ja lapsia julkisilla paikoilla kaupungeissa ja kylissä kautta Koillis-Syyrian. Miesten runneltuja ruumiita on usein asetettu näytteille varoitukseksi muille siitä, mitä seuraa, jos ei alistu Isisin valtaan. Teloituksista on kerrottu Aleppon, Raqqan, Idlibin, Hasakan ja Deir ez-Zorin maakunnissa.[94][96] Isis teloitti ensimmäisen vuotensa aikana Syyriassa kaikkiaan 3027 ihmistä, lähes 1800 heistä oli siviilejä, ja 74 järjestön Syyriassa kuolemaan tuomitsemista oli lapsia. Monien teloitettujen syytteiksi on kirjattu jumalanpilkka tai vakoilu, tuomioita on kuitenkin jaettu myös šiia-muslimeille sekä sodomiasta tai noituudesta syytetyille. Kaksi alaikäistä poikaa tuomittiin kuolemaan, koska he olivat syöneet ramadanin paaston aikana "ilman uskonnollista oikeutusta". YK:n raportin mukaan jihadistit ovat teloittaneet jopa kehitysvammaisia lapsia.[97] Irakista ei ole luotettavia lukuja, mutta Isisin uskotaan surmanneen tuhansia irakilaisia, muun muassa 1700 šiiataistelijaa Camp Speicherin joukkomurhassa Tikritissä.[98]
Uskonnollisten ja muiden vähemmistöjen vainot
Isis pakottaa hallitsemiensa alueiden ihmiset kuolemanrangaistuksen, kidutuksen tai silpomisen uhalla tunnustamaan islamilaisia uskon opinkappaleita, ja elämään järjestön sunnalaisen šaria-lain tulkinnan mukaisesti. Se harjoittaa väkivaltaa erityisesti šiia-muslimeja, Assyrian alkuperäiskansoja, kaldealaisia, Syyrian ja Armenian kristittyjä, jesidejä, druuseja, šabakkeja ja mandelaisia kohtaan.[99]
Amnesty Internationalin mukaan Isis on syyllistynyt etnisten ja uskonnollisten vähemmistöjen etniseen puhdistukseen Pohjois-Irakissa "historiallisessa mittakaavassa". Erikoisraportissaan Amnesty kuvaa miten Isis on "systemaattisesti ottanut kohteekseen muut kuin arabi- ja sunnimuslimiyhteisöt, tappaen ja kaapaten satoja, mahdollisesti tuhansia, ja on pakottanut yli 830000 ihmistä lähtemään alueilta jotka se oli vallannut 10. kesäkuuta 2014 mennessä". Näitä ihmisryhmiä ovat Assyrian kristityt, turkmeeni-šiiat, šabakit, jesidit, kakait, ja Sabean mandealaiset, jotka ovat eläneet yhdessä vuosisatoja Nineveh'n provinssissa. Suuria osia kyseisistä alueista on nyt Isisin hallinnassa.[100][101]
Isis vainoaa myös seksuaalivähemmistöjä ja homoseksuaalisista teoista kiinni saatuja ja epäiltyjä miehiä on heitetty erityisesti korkeiden rakennusten katoilta ja sen jälkeen kivitetty. Tapahtumista on julkaistu verkossa videoita.[102]
Jesidien vainot
Isis on käynnistänyt vainokampanjan Irakin jesidivähemmistöä vastaan. Järjestö on tappanut ja siepannut tuhansia jesidejä sekä piirittänyt satoja jesidiperheitä. Elokuussa 2014 jopa 50000 jesidin kerrottiin paenneen jihadistien hyökkäystä. He joutuivat asumaan luolissa ja metsästämään eläimiä henkensä pitimiksi. YK:n ihmisoikeusasioista vastaavan apulaispääsihteeri Ivan Šimonovićin mukaan toimet saattavat täyttää kansanmurhan yrityksen tunnusmerkit.[103]
Kristittyjen vainot
Mosulin kristityille Isis tarjosi joko kääntymistä, suojelurahaa vastaavan korvauksen maksua,[104] poistumista kaupungista tai viime kädessä kuolemaa.[105] Isis tuhosi valloittamaltaan alueilta kristittyjen pyhäkköjä muun muassa räjäyttämällä.[106]
Helmikuussa 2015 Isis surmasi mestaamalla 21 egyptiläistä koptikristittyä Libyassa.[107] Samoihin aikoihin Isis sieppasi 220 assyrialaista kristittyä Hasakan maakunnassa Koillis-Syyriassa. Se vapautti 19 siepattua lunnaita vastaan seuraavalla viikolla. Syrian Observatory for Human Rights -järjestön mukaan Isis on vallannut kymmenen kristittyä kylää Hasakan alueelta. Lähes 5000 ihmistä on paennut alueelta kurdien tai Syyrian hallituksen hallitsemille alueille.[108]
Huhtikuussa 2015 julkaistulla videolla näytetään 30 Etiopian kristityn teloitus Libyan Fazzanissa järjestön hallitsemalla alueella. Videolla on myös kuvaus kristinuskon eri haaroista ja kuvamateriaalia useiden kirkkojen, alttarien ja taideteosten tuhoamisesta tuntemattomissa paikoissa.[109]
Paavi Franciscus totesi heinäkuussa 2015, että Lähi-idässä on meneillään kristittyjen kansanmurha, ja vaati välitöntä loppua kristittyjen vainolle. Hän on aiemmin ilmaissut huolta kristittyjen tilanteesta varsinkin Isisin valloittamilla alueilla. Vuonna 2014 paavi vetosi yhdessä Konstantinopolin patriarkan Bartolomeoksen kanssa Lähi-idän kristittyjen ja muiden vähemmistöjen suojelemisen puolesta.[110]
Orjakauppa ja seksiorjat
Syyriassa toimivan ihmisoikeusjärjestö Syrian Observatory for Human Rightsin mukaan Isis myy vangiksi ottamiaan naisia ja tyttöjä sotasaaliina orjiksi. Järjestön elokuussa 2014 julkistamien tietojen mukaan Isis on kuljettanut Irakista vähintään 300 vangittua naista Syyriaan. Suurin osa heistä on kuulunut jesidien uskonlahkoon. Naisten sanotaan kääntyneen islamiin, jolloin he voivat mennä naimisiin Isis-taistelijoiden kanssa. Naiset joko jaetaan taistelijoille tai heidät myydään tuhannen dollarin eli noin 760 euron hintaan. Nuorimmat heistä ovat olleet 14-vuotiaita. YK:n ihmisoikeuskomissaari Navi Pillay sanoo Irakissa tapahtuneen systemaattisia raiskauksia ja ihmisten orjuuttamista.[111]
Jopa 13-vuotiaita tyttöjä on otettu pois perheidensä luota julmuuksien, seksuaalisen väkivallan ja raiskauksien kohteeksi.[95]
Isisin lehdessä Dabiq on esitetty teologiset perustelut vankien ottamiselle vaimoiksi tai seksiorjiksi. "Vangitsemisen jälkeen naiset ja lapset jaettiin Sindžarin valtaukseen osallistuneille taistelijoille, sen jälkeen kun viidennes oli otettu khums-verona Islamilaiselle valtiolle." "Vääräuskoisten (kuffār) perheiden orjuutus ja naisten otto seksiorjiksi on šariassa hyvin vakiintunut käytäntö, ja joka tämän kieltää tai sitä pilkkaa, hän syyllistyy Koraanin ja Profeetan sanelun pilkkaan."[112]
Joukkomurhat
Lokakuun 2014 lopulla löydettiin Isisin jäljiltä 150 ihmisen joukkohauta Ramadin kaupungista ja sekä 70 ihmisen joukkohauta Hitin kaupungista. Surmatut ovat sunneja ja kuuluvat kaikki Albu Nimr -heimoon. Myös Isis-jihadistit ovat sunneja. Kyseisen heimon jäsenet ovat kuuluneet Isisin vastustajiin. Tapetut olivat enimmäkseen poliiseja tai kuuluivat Isisiä vastaan taistelevaan Sahwa-ryhmittymään.[113][114]
Toimittajien ja avustustyöntekijöiden kidutukset ja teloitukset
Yhdysvaltalainen SITE Intelligence Group on julkaissut kolme videota, joissa Isis teloittaa yhdysvaltalaiset James Foleyn 19. elokuuta 2014 ja Steven Sotloffin 2. syyskuuta 2014 sekä brittiläisen avustustyöntekijä David Cawthorne Hainesin 13. syyskuuta 2014. Isisin taistelijat pahoinpitelivät ja kiduttivat toimittaja James Foleyta jopa kuukausia ennen kuin tämä mestattiin. Foleyn vankitoverien kertoman mukaan Foley joutui silmätikuksi amerikkalaisuutensa takia. Vangit puettiin oranssiin asuun, jolla matkittiin Yhdysvaltain vankina olleiden al-Qaida-epäiltyjen asuja Guantanamossa. Foleyta roikotettiin pitkiä aikoja pää alaspäin nilkoista sidottuna. Häntä hakattiin ja hänen annettiin nähdä nälkää, lisäksi häntä vesikidutettiin eli aiheutettiin hukkumisen tunne kaatamalla vettä hänen päänsä päälle. Foley joutui myös kokemaan valeteloituksia.[115] Länsimaalaisten lisäksi Isis on lokakuuhun 2014 mennessä teloittanut ainakin 17 irakilaista toimittajaa.[116]
Teloitusvideot
Isisin englanninkielisillä videoilla esiintyväksi teloittajaksi on tunnistettu brittiläinen Mohammed Emwazi, josta mediassa käytetään nimeä Jihadi John. Brittiaksentilla Isisin teloitusvideoissa englantia puhuva Jihadi John herätti mediassa paljon huomiota.
Emwazi ehti ennen tunnistustaan teloittaa toimittajat James Foleyn ja Steven Sotloffin sekä brittiläisen avustustyöntekijä David Hainesin.[117]
Tämän jälkeen on julkaistu video avustustyöntekijä Alan Henningin mestauksesta, sekä video jossa mestataan 21 syyrialaista sotilasta ja jossa Emwazi seisoo pidellen avustustyöntekijä Peter Kassigin irrotettua päätä. Myöhemmin on julkaistu teloitusvideo japanilaisen toimittaja Kenji Goton ja sotilasurakoitsija Haruna Yukawan mestaamisesta.
Tammikuussa 2015 julkaistiin video, jossa nuori poika ampuu kaksi miestä, joiden syytetään olevan venäläisiä vakoojia.[118]
Maaliskuun 2015 videossa toinen poika ampuu Israelin vakoojaksi syytetyn miehen. Luokkatoverit ovat tunnistaneet pojan olevan kotoisin Toulousesta ja hänen uskotaan olevan 12-vuotias. Videolla esiintynyt mies, joka uhkaa juutalaisia ranskaksi, on tunnistettu epävirallisesti Sabri Essidiksi, joka on seitsemän ihmistä Etelä-Ranskassa 2012 surmanneen jihadistin Mohamed Merahin yhteistyökumppani. Pojan uskotaan olevan hänen poikapuolensa.[119]
Lapsisotilaiden käyttö
Isis käyttää lapsisotilaita osana joukkojaan. Lapsisotilaille järjestetään harjoitusleirejä, joissa lapset ovat olleet joissain tapauksissa kuukauden verran eristyksissä. Heille opetetaan väkivaltaa kaihtamattomia Islamin tulkintoja ja aseiden ja räjähdeliivien käyttöä.[120]
Isis julkaisi 4. heinäkuuta 2015 miehitetyssä Palmyran kaupungissa kuvatun videon, jossa teloitetaan 25 järjestön vangiksi jäänyttä henkilöä. Teloittajat ovat lapsisotilaita. Teloitukset tapahtuvat historiallisessa amfiteatterissa satojen katsojien ympäröimänä.[121]
Toimet omia taistelijoita kohtaan
Isiksen riveihin liittyvät taistelijat vannovat valan, jonka rikkominen merkitsee tottelemattomuutta kalifia kohtaan. Rangaistuksena voi olla kuolema. Isis uhkaa surmata taistelijansa, jos nämä jättävät taistelukentät palatakseen kotiin. Lokakuussa 2014 uutisoitiin että Syyriassa ja Irakissa on kymmeniä järjestöön liittyneitä taistelijoita, jotka haluaisivat palata Britanniaan, mutta ovat käytännössä Isiksen vankeina.[122]
Marras-joulukuussa 2014 Isisin raportoitiin tappaneen 116 omaa ulkomaista taistelijaansa, koska nämä halusivat palata koteihinsa.[123]
Syyrian Al-Mayadeenissa toimivan ihmisoikeusaktivistin mukaan Isisin johto on antanut määräyksen, jonka mukaan HIV-positiiviset taistelijat pakotetaan itsemurhapommittajiksi. Sairastuneita kerrottiin elokuussa 2015 olevan ainakin 16. Tartunnat ovat herättäneet paniikkia Isis-taistelijoiden parissa.[124]
Muinaismuistojen tuhoaminen
Isis pitää islamia edeltävää kulttuuriperintöä epäjumalanpalvontana ja siitä syystä tuhoaa arvokkaita muinaismuistoja hallitsemillaan alueilla. Vuoden 2015 alussa Isis on tuhonnut Mosulin museon esineistöä sekä Irakin hallituksen ja paikallisten asukkaiden kertoman mukaan Nimrudin ja Hatran rauniokaupunkeja Pohjois-Irakissa. Isis tuhoaa ne suuret muinaismuistot, joita ei voi kaivaa ylös, ja myy pienemmät laittomilla taidemarkkinoilla. Satelliittikuvien perusteella Isis kerää muinaisesineitä myös kaivamalla niitä itse maasta.[125][126]
Isis valtasi elokuussa 2015 al-Qarytainin kaupungin, jossa sijainneen 400-luvulta peräisin olleen Pyhän Elianin luostarin se tuhosi raivaustraktoreilla.[127]
Suhteet muihin ryhmiin
Isisiin ja sen edeltäjiin on viitattu usein nimellä Irakin Al-Qaida. Alkujaan Al-Qaida-kytkentäistä Isisiä edelsivät ja sitä tukevat monet yksittäiset taistelevat sunniryhmät. Irakin Al-Qaida erotti helmikuussa 2014 Isisin, koska se vastoin Al-Qaidan johdon määräystä yritti liittää itseensä paikallisen Al-Qaidan järjestön Al-Nusran rintaman.[128]
Isis kilpailee Al-Qaidan kanssa jihadistimaailman johdosta.[129] Se on Al-Qaidaa aktiivisempi, raaempi ja jyrkempi järjestö, joka pyrkii maailmanlaajuiseen pyhään sotaan ja vastustaa erityisesti Yhdysvaltoja ja sen yhteiskuntaa. Yhdysvallat alkoi toimia Irakissa kesällä 2014 Isisiä vastaan.
Järjestö on taistellut sekä Irakin että Syyrian hallitusta vastaan, koska nämä ovat šiialaisten käsissä. Isis vihaa alueen kaikkia valtioita ja muita uskontoja kuin sunni-islamia.[67] Šiiat ovat Isisin mielestä harhaoppisia.[67] Saudi-Arabian on väitetty tukeneen Isisiä, mutta maa hajotti siellä toimineen Isisin solun ja sanoo järjestön olevan uskonnon valepuvussa olevia terroristeja.[130] Saudi-Arabialla on esitetty olevan kaksijakoinen suhtautuminen Isisiin. Yhtäältä maan on sanottu tukeneen Isisiä sen taistelussa saudien vääräuskoisiksi tuomitsemia šiioja vastaan. Toisaalta saudihallitsijat pelkäävät nyt Isisin myös pyrkivän syrjäyttämään saudidynastian Saudi-Arabian johdosta.[131] Isisillä on Saudi-Arabiassa vahva kannatus: saudiarabialaisen Al-Hayat -sanomalehden kyselyssä 92 prosenttia vastaajista piti Isistä islamin ja islamilaisen lain arvojen mukaisena.[132]
Isis on taistellut Syyrian sisällissodassa myös maltillisia kapinallisia vastaan.
Isis on uhannut tuhota Hamas-järjestön Gazassa.[133]
Solutus ja iskuihin yllytys länsimaissa
Yhdysvaltalaisen BuzzFeedin toimittaja haastatteli Turkissa ihmissalakuljettajia, jotka kertoivat että Isis soluttaa taistelijoitaan Syyrian pakolaisina Euroopan maihin. Taistelijat lähtevät Turkin satamista laivoilla Välimeren yli Italiaan ja hakemaan turvapaikkaa maista, joista sen saa helposti, kuten Saksasta tai Ruotsista. Yhdysvaltain senaatin tiedusteluvaliokunnan ja puolustusvaltiokunnan jäsenet vahvistivat tietävänsä tästä. Entisen Syyrian turvallisuusjoukkojen jäsenen, sitten Yhdysvaltain tukemaan FSA:han loikanneen ja siitä Isisiin siirtyneen Isis-toimijan väitteitä 4000 taistelijan määrästä ei voi pitää uskottavana.[134]
Euroopassa on epäilty Isisin muodostavan "nukkuvia soluja", jotka ovat valmiita terrori-iskuihin. Tiedustelupalvelut uskovat näitä olevan noin 20 ja niissä 120–180 jäsentä Ranskassa, Saksassa, Belgiassa ja Alankomaissa.[135] Myös Ruotsissa on Isis-loikkareiden mukaan soluja.[136]
Isisin jäsenet ovat julkaisseet Twitterissa useita valokuvia, joissa kuvataan Rooman ja Milanon nähtävyyksiä pahvilapulle kirjoitetun viestin kanssa, jossa ilmoitetaan järjestön jäsenten "odottavan H-hetkeä."[137]
Brittilehdet ovat kertoneet Isisin aikovan lähettää Eurooppaan jopa puoli miljoonaa laitonta maahantulijaa Libyasta "psykologisena aseena".[138][139]
Vuonna 2016 Isis on aiempaa aktiivisemmin yllyttänyt länsimaissa asuvia nuoria muslimeja tekemään siviileihin kohdistuvia murhaiskuja kotimaissaan sitä mukaa, kun järjestö itse on joutunut ahtaalle Irakissa ja Syyriassa. Iskujen jälkeen Isis on yleensä ottanut vastuun iskuista, vaikka järjestöllä ei ennen iskua olisi ollut mitään tietoa teon suorittajista.[140]
Terrori-iskut
Isisiin kytköksissä oleva egyptiläisryhmä on ilmoittanut tiputtaneensa 31. lokakuuta 2015 pudonneen Airbus A321-200 -koneen tölkkipommilla.[141] Huonomaisen Kolavia-lentoyhtiön kone lähti 5.58 Sharm el-Sheikhistä ja putosi Siinain autiomaan yllä. Kaikki koneen 224 matkustajaa, joista suurin osa oli venäläisiä, kuolivat turmassa.[142] Turmaa epäiltiin aluksi teknisistä ongelmista, mutta tutkinnan edettyä Venäjäkin joutui myöntämään koneen pudonneen pommi-iskun seurauksena.[142]
Isis on julistautunut Libanonissa Hizbollahin hallitsemalla alueella etelä-Beirutissa 12. marraskuuta 2015 tapahtuneen kaksoispommi-iskun tekijäksi.[143] Iskuissa kuoli 43 ihmistä[144] ja haavoittui yli 230 ihmistä.[143] Bourj al-Barajnen alueella räjähti iltakuudelta ruuhka-aikaan pommi leipomon edustalla ja hieman myöhemmin läheisen moskeijan vieressä.[145] Alun perin viiden itsemurhapommittajan oli tarkoitus osallistua iskuun, mutta yksi pommittajista ei koskaan saapunut Libanoniin, yksi pidätettiin ja yksi ei ehtinyt räjäyttää pommivyötään.[144] Iskujen seurauksena viranomaiset pidätettivät seitsemän syyrialaista ja kaksi libanonilaista.[144] Viranomaisten mukaan tekijöiden oli aluksi tarkoitus iskeä Hizbollahin sairaalaan, mutta tiukkojen turvatoimien takia hyökkäyskohde vaihtui.[144]
Isisin epäillään tehneen useita terrori-iskuja myöhään illalla 13. marraskuuta 2015 Ranskassa Pariisissa ja sen esikaupungissa Saint-Denisissä. Niissä kuoli arvioiden mukaan ainakin 129 ihmistä ja 352 loukkaantunutta on viety sairaalaan, heistä noin 99 on kriittisessä tilassa.[146][147] Ranskan presidentti Francois Hollande pitää iskujen tekijänä Isisiä sen jälkeen, kun se oli ilmoittautunut iskujen tekijäksi sosiaalisessa mediassa.[148]
Isis ilmoittautui Brysselin pommi-iskujen tekijäksi 22. maaliskuuta 2016. Pommi-iskut tapahtuivat aamulla noin kello 8 paikallista aikaa Brysselin lentoasemalla ja Maelbeek/Maalbeekin metroasemalla Brysselin keskustassa.[149] Kaksi räjähdystä tapahtui kansainvälisten lentojen lähtöselvitystilassa lähellä American Airlinesin tarkastuspistettä ja kolmas räjähdys Maelbeek/Maalbeekin metroasemalla. Viranomaiset sulkivat lentokentän ja metron. Saman aamupäivän aikana lentokentältä löytyi räjähtämätön itsemurhaliivi sekä Kalašnikov-rynnäkkökivääri.[150]
Belgian terveysministerin mukaan lentokentällä tapahtuneissa räjähdyksissä on kuollut ainakin 14 ihmistä ja loukkaantunut 81 ihmistä. Metron pommituksessa on kuollut metroa operoivan STIB:n tietojen mukaan ainakin 20 ihmistä ja loukkaantunut 55, joista kymmenen kriittisesti.[151] Belgian liittovaltion syyttäjän mukaan kaikki kolme räjähdystä olivat terroristi-iskuja, ja ainakin toinen lentokentän räjähdyksistä oli todennäköisesti itsemurha-isku.[152]
Propaganda islamistisesta utopiasta
Islamistinen Isis-järjestö tuottaa paljon enemmän propagandaa kuin mikään muu jihadistiliike. Järjestö keskittyy viestinnässään uusien jäsenten houkutteluun islamistisen utopian esilletuonnilla. Islamistisen yhteiskunnan luvataan olevan kukoistava ja onnellinen. Kuva-aineistoissa esitetään nauravia lapsia ja onnea, sen sijaan järjestön julmuudesta, väkivallasta ja rangaistuksista kertoo vain hyvin pieni osa viestintämateriaalista. Esimerkiksi kuukauden seurantajakson aikana Isis julkaisi yli tuhat erilaista tiedotusaineistoa eri puolilla maailmaa, ja joukossa oli myös videoita ja valokuvakertomuksia. Valtaosa aineistosta oli peräisin Irakin ja Syyrian alueelta.[153]
Liittolaiset
Lokakuussa 2014 libyalainen Islamilaisen nuorison šura-neuvosto vannoi uskollisuutta kalifaatille. Ryhmällä on noin 800 taistelijaa Libyassa ja se toimii lähinnä Itä-Libyan Bengasissa. Loppuvuodesta 2014 ryhmä otti haltuunsa 100000 asukkaan Darnan kaupungin.[154] Helmikuussa 2015 ryhmä otti haltuunsa pienen Nofaliyan kaupungin ja pian kohteita Sirtissa.[155] Helmikuussa 2015 Libyan Isis julkaisi oman videonsa, jossa mestataan 21 kaapattua Egyptin koptikristittyä Libyassa.[156]
Lokakuussa 2014 egyptiläinen Siinain provinssi (aiemmalta nimeltään Ansar Bait al-Maqdis) julisti uskollisuutensa kalifaatille. Ryhmä toimii Egyptin Siinailla.[157]
Eräät afganistanilaiset ja pakistanilaiset ryhmittymät ovat vannoneet uskollisuutta Isisille.[158][159]
AQIM:ista eronnut ja Isikseen liittynyt ryhmä mestasi ranskalaisen turistin Algeriassa syyskuussa 2014. Ryhmällä ei ole ollut muuta mainittavaa toimintaa.[159]
Suurin osa Kaukasian emiraatin komentajista Tšetšeniassa ja Dagenstanissa on vannonut uskollisuutta Isisille.[160]
Nigerialainen Boko Haram on vannonut uskollisuutta kalifaatille.[161]
Ulkovaltojen suhtautuminen
Koska Isisin toiminnassa on lukuisia ristiriitaisuuksia, järjestön johtajien todellisesta uskonnollisuudesta on kahta käsitystä. Yhden käsityksen mukaan Isis on omistautunut äärikonservatiivisen islamilaisen valtion perustamiselle hintaan mihin hyvänsä, ja siksi se muuntaa uskonnollisia oppejaan tarpeen mukaan käytännön syistä ja tekee myönnytyksiä, jotta se pääsisi tavoitteeseensa tehokkaammin. Toisen näkemyksen mukaan Isisin johtajat ovat vain rikollisia tai kyynikoita, jotka eivät itse usko omaan apokalyptiseen ja puritaaniseen retoriikkaansa, vaan käyttävät uskonnollisia symboleja, lakeja, profetiaa ja islamilaisen kalifaatin piirteitä vain keinoina päästä valtaan ja pysyä vallassa.[162]
Rahoitus
Isis hallitsee merkittäviä öljykenttiä ja öljynjalostamoja valtaamillaan alueilla, ja se onkin yksi historian vauraimmista terroristijärjestöistä. Syyskuussa 2014 arvioitiin että Isis vaurastuu öljytulojensa kautta yli miljoonalla eurolla päivittäin.[74] Organisaatiolla sanottiin olevan öljyvaroja hallussaan kahden miljardin dollarin edestä. Isisin hallitsemilla öljykentillä Pohjois-Irakissa pumpattiin tuolloin öljyä päivittäin 25000 – 40000 barrelia. Isis salakuljettaa Irakista pumpattua öljyä Saddam Husseinin ajoilta lähtien alueilla sijainneita salakuljetusreittejä pitkin[163] Syyriaan, Turkkiin, Irakin Kurdistaniin ja Iraniin.[71] Isisin pääasiallinen öljyntuotantoalue sijaitsi marraskuussa 2015 Irakin Qayyarrassa ja Syyrian itäosassa Deir ez-Zorin maakunnassa.[164] Tuolloin Financial Times arvioi järjestön öljytulojen olevan 1,4 miljoonaa dollaria päivässä. Vuodessa öljytuloja kertyy lähes 470 miljoonaa euroa.[165] Yhdysvaltain johtama liittouma on kohdistanut pommituksia Isisin hallussa oleviin öljylaitoksiin. Öljyn maailmanmarkkinahinnan romahtaminen on laskenut järjestön tuloja.[29]
Isis hankkii rahaa myös lahjoituksina, pankkiryöstöillä, huumekaupalla,[164] salakuljetuksella ja antiikkiesineiden myynnillä.[166]
Isiksen väitetään ansaitsevan kahdeksan miljoonaa dollaria kuukaudessa kiristyksellä – kiristyksen kohteena on paikallinen liike-elämä. Isis kutsuu itse suojelurahoja ”vallankumousveroksi”. Rahan maksamatta jättäminen voidaan kostaa uhkailulla ja väkivallalla.[167]
Isis oli ansainnut 65 miljoonaa dollaria lokakuuhun 2014 mennessä panttivankien sieppaamisilla. Sen hallussa oli lokakuussa 2014 noin 40 prosenttia Irakin maan vehnäntuotannosta. Järjestö on vallannut hallinnon viljavarastoja ja myy viljaa paikalliselle väestölle omaan laskuunsa.[71]
Kalifi on ilmoittanut, että Islamilainen valtio ottaa käyttöön metallikantaisen rahayksikön Islamilaisen dinaarin "tyrannimaista rahoitusjärjestelmää" muuttaakseen.[168]
Tammikuussa 2015 Isisin valloittamilla alueilla toimivien pankkien käteisvarojen arvioitiin ehtyneen. Syyrian Raqqassa Isis maksoi edelleen palkkoja taistelijoille ja julkisten alojen työntekijöille, mutta kaupungista saatujen raporttien mukaan järjestöllä on vaikeuksia ylläpitää palveluja.[29]
Varustus
Isisin taistelijat ovat nykyaikaisesti varustettuja ja pystyvät tehokkaaseen, kurinalaiseen sodankäyntiin. Järjestö on kehittynyt asteittaisesti terroristijärjestöstä yhä enemmän tehokkaaksi puolisotilaalliseksi armeijaksi, joka on taitava kaupunkisissisodassa. Isisillä on satojen miljoonien eurojen omaisuus. Järjestö värvää taistelijoita eri puolilta maailmaa. Isis on saanut nykyaikaista amerikkalaista aseistusta sotasaaliina Irakin armeijalta.[163][169] Ammuksia, joita voi taistelujen aikana kulua kymmeniätuhansia päivässä, Isis ostaa pimeiltä markkinoilta. Asekauppiaat, joiden asiakas Isis on, ostavat ammuksia Isiksen vihollisilta, eli Assadin hallinnolta, sitä vastaan taistelevilta kapinallisilta sekä irakilaisilta. Erään asekauppiaan mukaan Isis voisi ostaa myös israelilaisia tuotteita, mutta niitä ei ole helposti saatavilla.[170]
Isisillä tiedetään olevan seuraavanlaista sotilaskalustoa:
Jalkaväki
AK-47 rynnäkkökivääri[171]
AKM-rynnäkkökivääri[172]
PKM-konekivääri[172]
DŠK-konekivääri[171]
Milkor MGL -kranaattikonekivääri[171]
RPG-7 sinko[171]
M79 Osa sinko[171]
HJ-8 panssarintorjuntaohjus[171]
9M111 Fagot -panssarintorjuntaohjus[173]
FIM-92 Stinger -ilmatorjuntaohjus[171]
Strela-2 ilmatorjuntaohjus[173]
Ajoneuvot
M1 Abrams taistelupanssarivaunu, käytetty joidenkin lähteiden mukaan kurdeja vastaan[174].
T-72-taistelupanssarivaunu, käytössä arviolta 5 − 10[171]
T-55-taistelupanssarivaunu, käytössä arviolta 30[171]
Humvee-sotilasajoneuvo[171]
Tykistö
130 mm kanuuna M-46[171]
M198 haupitsi[171]
BM-21 raketinheitin[175]
ZU-23-2 ilmatorjuntakanuuna[171]
37 mm automaattinen ilmatorjuntatykki M/1939 61-K[173]
Lähteet
Citation error, replace with{{cite book| author = McCants, William| title = ISIS ja ilmestys: islamilaisen valtion historia, strategia ja tuomiopäivän visio| publisher = Terra Cognita| year = 2016 (alkuteos The Isis Apocalypse, 2015)| version = (suomennos Kimmo Pietiläinen)| isbn = 978-952-5697-77-3}}
Viitteet
Aiheesta muualla
Check date values in: |accessdate=, |date= (help)
Check date values in: |date= (help)CS1 maint: unrecognized language (link)
Check date values in: |accessdate=, |date= (help)CS1 maint: unrecognized language (link)
*
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Isis%20%28j%C3%A4rjest%C3%B6%29 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
774,
2101,
7294,
10511,
15030,
16743,
21105,
22576,
23659,
29008,
32889,
34079,
34981,
36270,
36802,
37638,
38171,
38761,
39560,
40381,
41153,
41540,
41619,
42264
],
"plaintext_end_byte": [
773,
2048,
7293,
10467,
15029,
16702,
21104,
22575,
23630,
29007,
32838,
34078,
34923,
36269,
36774,
37637,
38170,
38717,
39529,
40367,
41152,
41532,
41618,
42191,
42318
]
} | ما نسبة المسيحيين في التشيك؟ | المسيحية في التشيك | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
1
],
"minimal_answers_start_byte": [
1975
],
"minimal_answers_end_byte": [
1978
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
تعد المسيحية تاريخيًا أكبر ديانة في الأراضي التشيكيَّة، حيث كان أغلب التشيك من المسيحيين حتى القرن العشرين. وقد تحولت التشيك تدريجيًا من الوثنية إلى المسيحية بين القرنين الثامن والعاشر، وتم أعتماد المسيحية رسميًا كدين الدولة عقب تنصر بوزيفوي الأول دوق بوهيميا، على يد كيرلس وميثوديوس. ومنذ القرن السادس عشر كانت جمهورية التشيك بلد كاثوليكي، ووفقًا لإحصائية تعود إلى عام 1901 شكّل الكاثوليك نسبة 86.2% من سكان جمهورية التشيك.[1]
اتسم الشعب التشيكي تاريخيًّا بالتسامح ولا مبالاة تجاه الدين، [2] وأثرّ الحكم الشيوعي سلبًا على الممارسة والدينية والتدين في التشيك، حيث تُعد اليوم جمهورية التشيك واحدة من أقل الدول المتدينة في العالم. وجدت إحصائيّة معهد بيو سنة 2010 أن حوالي 39.4% من سكان جمهورية التشيك من المسيحيين أي حوالي 4,140,000 نسمة، وبحسب نفس الدراسة تأتي الكنيسة الرومانية الكاثوليكية في مقدمة الطوائف المسيحية.[3] في حين وفقًا لتعداد السكان عام 2011 كان حوالي 34.2% من السكان ليس لديهم دين، في حين كان 10.3% من أتباع الكنيسة الرومانية الكاثوليكية، وشكَّل البروتستانت 0.8% من السكان، (0.5% لوثريين و0.4% من الهوسيون)، في حين لم يجب 45.2% من السكان على سؤال حول الدين.[4] ووجدت دراسة يوروباروميتر عام 2012 أن حوالي 34% من سكان جمهورية التشيك من المسيحيين.[5]
تاريخ
العصور الوسطى المبكرة
قدم آوائل المبشرين المسيحيين في مورافيا من أبرشية باساو، وريغنسبورغ، وسالزبورغ.[6] حيث جذبت طريقة حياة الأرستقراطية الخاصة بالفرنجة كل من زعماء مورافيا وبوهيميا والتي ربطوها مع المسيحية.[7] وكان اعتماد الإيمان الجديد في البداية هو قرار شخصي لأفراد من الطبقة الأرستقراطيَّة.[8] على الرغم من ذلك لم يتم اكتشاف أي أدوات متصلة بالمسيحيَّة والتي يمكن أن تعود إلى الفترة قبل منتصف القرن التاسع في بوهيميا.[9] كتب فولادا أن "أربعة عشر من دوقات البوهيميين" زار لودفيش الجرماني في ريغنسبورغ حيث تلقوا سر المعمودية في 13 يناير من عام 845..[10][11][12] وأعرب الزعماء التشيكيين عن أملهم في أن يساهم تحويلهم للمسيحية في الحفاظ على السلام مع الفرنجة، الأ أنهم سرعان ما عادوا إلى الوثنية بعد أن غزا لودفيش الجرماني مورافيا المسيحيَّة وعيَّن موجمير الأول في عام 846.[13][14] قام ابن شقيق موجمير الأول وخليفته، الدوق راستسلاف (846-860) بطلب من الكرسي الرسولي بإرسال المبشرين وذلك في عام 860.[13] ومع ذلك، لم يتم تلبيه طلبه، فقام بإرسال مبعوثين إلى القسطنطينية لطب إرسال مجموعة من المبشرين، فأرسل الإمبراطور ميخائيل الثالث والبطريرك فوتيوس الأخوان كيرلس وميثوديوس، اللذان كانا يجيدان السلافية.[15] وصل الأخوان كيرلس وميثوديوس إلى مورافيا في عام 863 أو عام 864. كانوا يستخدمون العاميَّة ليس فقط في التعليم ولكن أيضًا في القداس،[15] مما مكنهم من تعزيز العنصر المحلي من رجال الدين.[16] وفي عام 863 بدأا عملهما بين السلاف مستعملين اللغة السلافية في الصلاة والليتورجيا، وقاما بترجمة الكتاب المقدس إلى اللغة التي عرفت لاحقًا باسم اللغة السلافيَّة الكنسيَّة القديمة، وقاموا بإبتكار الأبجدية السلافية المبنية أساسًا على طابع الحرف اليوناني والتي لا تزال تستعمل بشكلها السيريلي النهائي في الأبجدية المعاصرة في اللغة الروسية وفي مجموعة من اللغات السلافية الأخرى.
وقد تسبب نجاح المبشرين البيزنطيين كيرلس وميثوديوس في نزاعات مع الفرنجة الذين اتهموا الشقيقين بنشر البدعة في الكرسي الرسولي.[13][16] ولدى سماع ذلك، زار كيرلس وميثوديوس روما حيث أقر البابا أدريان الثاني استخدام السلافيَّة في الليتورجيا ورسم تلاميذهم كهنة في عام 869.[16] ودخل كيرلس دير في روما،[13] لكنه توفي في 14 فبراير من عام 869.[16] على الرغم من أن البابا رسم ميثوديوس أسقف سرميوم الواقعة في الأراضي الصربيَّة، الأ أنه تم اعتقاله من قبل القراصنة الألمان خلال سفره من روما.[13][16] وعاد لاحقًا إلى مورافيا بعد أن قام البابا يوحنا الثامن بالتوسط لإطلاق سراحه في عام 873.[17] وحصل ميثوديوس على الولاية القضائيَّة على جميع الكنائس الواقعة في أراضي مورافيا.[18] قام ميثوديوس يتعميد دوق بوهيمي يدعى بوزيفوي الأول (872-889) والذي كان رئيسًا لسلالة بوميسليد الناشئة.[19] وسرعان ما بنى الدوق كنيسة في ليفو هراديتش، ولكن رعاياه الذين أصروا على الوثنية قاموا بمحاربته وطرده.[20] وبمساعدة سفاتوبلوك الأول، عاد بوزيفوي إلى بوهيميا وهزم أعدائه في حوالي عام 885.[21][22] وقام ببناء كنيسة جديدة في قلعة براغ.[23] مع موت ميثوديوس في 6 أبريل من عام 885.[24] استغل خصومه وفاته وأقنعوا البابا ستيفان الخامس بمنع استخدام العاميَّة في الليتورجيا.[25] وسرعان ما قام سفاتوبلوك بطرد تلاميذ ميثوديوس من إمبراطوريته.[26] وتفككت مورافيا بعد وصول المجريين الذين قاموا بغزوا الأراضي المورافيَّة بين عام 903 وعام 906.[13][27]
لعب دوق بوهيميا سبيتيهنوف الأول (894-915) دورًا بارزًا في تطور منظمة الكنيسة.[28] وخلال حقبة الدوق وينسلاوس الأول (921–935) كان العديد من الكهنة المعروفين من هذه الفترة، بما في ذلك كراستج في ستارا بوليسلاف وأوسن في بوديتش من سكان مورافيا المحليين.[29] وأصبحت لودميلا جدة وينسلاوس الأول أول قديسة محليَّة.[30] وكانت قد قتلت في عام 921 بسبب صراعاتها مع زوجة إبنها، دراهوميرا (والدة وينسيسلاوس).[31][22] وبدأت تبجيلها في حوالي عقد 925 في عهد حفيدها.[30] ومع مقتل حفيدها وينسيسلاوس الأول أصبح هو أيضًا موضوع تبجيل.[32] وأصبح القديس وراعي بلاد التشيك و"الأمير الأبدي" لبوهيميا في نهاية القرن.[33] وذكرت أساطير وينسيسلاوس الأول بين الأعمال الأولى للأدب المحلي.[34] حيث كان الاستخدام الموازي لللاتينية واللغة السلافيَّة الكنسيَّة القديمة في السياق الديني هو السمة البارزة لهذه النصوص.[35] على سبيل المثال، كانت الأسطورة الأولى لوينسيسلاوس مكتوبة باللغة اللاتينية في عقد 960، لكن النسخة السلافية الكنيسة القديمة ظهرت أيضًا في وقت قصير.[34] هزم شقيق وينسيسلاوس الأمير بوليسلاوس الأول (935-972) عددًا من الدوقات البوهيمية التي عارضت حكمه، وأقام حصون جديدة في جميع أنحاء بوهيميا، ويقول كوزماس من براغ أنَّ بولسلاوس الأول "بني عشرين كنيسة للدين المسيحي" في عهده.[36] وكانت أقدم الكنائس في بوهيميا مبنية على نمط الإنشاءات الخشبية.[37] كما تم بناء كنيسة المخصصة للعذراء في قلعة براغ والتي كانت أول كنيسة مبينة من الحجر في البلاد.[37] وأمر بولسلاوس الأول بإغلاق الأسواق المعقودة في حصونه يوم الأحد من أجل إقناع رعاياه لحضور القداس يوم الأحد.[38] كما أذن البابا يوحنا الثالث عشر له بإنشاء أسقفيتين في أراضيه عام 962. أنشأ بوليسلاوس الثاني (967-999) دير القديس جورج للراهبات البنديكتين في براغ.[39] وكانت شقيقته ملادا أول الراهبات، والتي مثلته خلال في مناقشاته مع الكرسي الرسولي بشأن تأسيس كرسي الأساقفة التشيكي.[40] وتم إنشاء أسقفية براغ ومورافيا، في نهاية المطاف في عام 975.[40] وأصبح مقر رئيس الأساقفة في ماينز.[40]
العصور الوسطى المتوسطة
أصبح أدالبرت القادم من سلالة سلافنيك القوية، أسقف مدينة براغ في حوالي عام 983.[40][41] وبحسب شهادة الإمبراطور هنري الرابع من عام 1086 وصفت حدود أبرشيَّة المطران أدالبرت.[40] ووفقًا للشهادة، شملت ولاية الأسقف أدالبرت كلاً من بوهيميا ومورافيا، إلى جانب أجزاء من سيليزيا، وبولندا الصغرى (بما في ذلك كراكوف)، وسلوفاكيا الحديثة التي انتمت أيضًا إلى الأسقفية في أواخر القرن العاشر.[42] حاول الأسقف أدالبرت حاول تعزيز القيم المسيحية في أبرشيته، على سبيل المثال من خلال إدانة لتعدد الزوجات.[41][43] ومع ذلك، فشل في جهوده وغادر لإيطاليا في عام 988 أو 989.[41] ومن ثم عاد إلى براغ بناءًا على طلب بوليسلاوس الثاني في عام 992. وفي العام الذي أسس مع الدوق دير بيفنوف للرهبان البينديكتين.[44] وغادر المطران أدالبرت مرة أخرى إلى روما قبل مجزرة حصلت ضد أقاربه من قبل الدوق في عام 995. وقد قتل أدالبرت من قبل قبائل البروسيانز الوثنية في عام 997.[41] وبدأ تطويبه في عام 999 من قبل الإمبراطور أوتو الثالث.[41] تم أدالبرت في البداية في كاتدرائية غنيزنو في بولندا، لكن قام الدوق ريتيسلاوس الأول (1035-1055) بإستراجع جسده لبراغ. وفي هذه المناسبة، أصدر الدوق في عام 1039 مراسيم تنص على التقيد العام بالعادات المسيحيَّة، بما في ذلك حظر العمل أيام الآحاد وفي أيام الأعياد المسيحية وحظَّر الدفن خارج المقابر المسيحية.[45] وقد تم ترميم الأبرشية في مورافيا، والتي كان كرسيها مدينة أولوموتس خلال حقبة الدوق فراتيسلاوس الثاني (1061-1092)، على الرغم من أن أخيه المطران جارومير من براغ (1068-1090) بذل كل الجهود الممكنة لعرقلة تقسيم أبرشيته.[34][46] وبالمثل، فإن إنشاء قسم فيسهراد الخاص بالأثرياء في حوالي عام 1070، والذي كان تابعًا مباشرة للكرسي الرسولي، قلل من قوة أساقفة براغ. من ناحية أخرى، تم إنشاءكاتدرائية القديس فيتوس تعد الكاتدرائية مثال ممتاز عن العمارة القوطية، وتقع الكاتدرائية داخل قلعة براغ والتي تحتوي على قبور العديد من الملوك البوهيمين وأباطرة الإمبراطورية الرومانية المقدسة، تقع الكاتدرائية تحت ملكية الحكومة التشيكية كجزء من مجمع قلعة براغ.[47] تم بناء كاتدرائية جديدة في أولوموتس خلال حقبة المطران جيندويتش زديك (1126-1150) والذي نقل كرسيه إلى القلعة في المدينة.[48]
تطور نظام الكنيسة المحليَّة بعد أن أجاز الممثل البابوي الكاردينال غيدو للأساقفة التشيكيين لتحديد حدود الرعايا في أبرشياتهم في عام 1143. كما ساهم تشييد الكاتدرائيات جديدة لتطوير مدارس الكاتدرائية التي نظمت وفقًا لفقة القانون الكنسي المعاصر، وتحولت هذه المؤسسات إلى مراكز تعليم متقدمة، ومتطورة في كثير من الأحيان وشكلت نقطة انطلاق لكثير من الإنجازات في أوروبا الوسطى،[49][50] وفي وقت لاحق شجعت على حرية البحث وخرّجت مجموعة كبيرة ومتنوعة من العلماء والفلاسفة.[49] وبينما حاولت الكنيسة فرض العزوبية على رجال الدين، الا أنَّ زواج الكهنة بقي واسع الإنتشار بين رجال الدين حتى نهاية القرن الثاني عشر.[51]
في القرنين الحادي عشر والثاني عشر تم تأسيس عدد من الأديرة الجديدة في الأراضي التشيكية، ومعظمهم من قبل الدوقات.[37] هذه الاديرة الجديدة حافظت على الحِرف التقليدية والمهارات الفنيّة وحافظت أيضًا على الثقافة الفكرية والمخطوطات القديمة داخل مدارسها ومكتباتها. فضلًا عن توفير حياة روحية لرهبانها، كانت الأديرة أيضًا مركز إنتاج زراعي واقتصادي، لا سيما في المناطق النائية، وأصبحت الأديرة احدى القنوات الرئيسية للحضارة.[52] وأصبح دير سازافا التي أنشأ في حوالي عام 1032 مركزًا مهمًا للأدب السلافي، [53] أما دير ستراهوف الذي بنى عام 1143 أصبح مركزًا للعلم والمعرفة وتعد مكتبة الدير واحدة من أغنى المكتبات في العصور الوسطى في العالم.[54] أنشئت المزيد من الأديرة البنديكتينيَّة حتى منتصف القرن القرن الثاني عشر عندما وصلت أوامر رهبنة جديدة وأصبحت ذات شعبية في الأراضي التشيكية.[37][55] وقام رهبان السيسترسيين بالإقامة لأول مرة في دير سيدليك بمبادرة من نبيل تشيكي يدعى ميروسلاف في عام 1142 أو 1143. وتم إنشاء أول دير لهم في ستراهوف في عام 1143 أو 1144.
الإصلاح البروتستانتي
بدأت حركة الإصلاح البوهيمي أو الإصلاح الهسي، والتي سبقت إصلاح مارتن لوثر في القرن السادس عشر في أراضي مملكة بوهيميا، وسعت لإصلاح الكنيسة الرومانية الكاثوليكية. واستمرت حركة الإصلاح البوهيمي لأكثر من 200 سنة، كان لها تأثير كبير على التطور التاريخي لأوروبا الوسطى، وتعتبر واحدة من أهم الحركات الدينيَّة والإجتماعيَّة والفكريَّة والسياسيّة في الفترة الحديثة المبكرة. كما أنتج الإصلاح البوهيمي أنتج أول كنيسة وطنية منفصلة عن سلطة روما، بالإضافة إلى أول كنيسة بروتستانتية سلميَّة.[56] لم يكن الإصلاح البوهيمي حركة موحده داخليًا، وعلى الرغم من انقسام الهوسيون إلى العديد من المجموعات، وقد تم تقاسم بعض الخصائص منها النفور عن الثروة والقوة للكنيسة، والتركيز على الكتاب المقدس، والتبشير في اللغة العاميَّة، وعلى العلاقة المباشرة بين الله والإنسان.[57][58] جنبًا إلى جنب مع الولدينيسية، يعتبر الإصلاح البوهيمي مقدمة للإصلاح البروتستانتي.[59] ويُشار إلى هذه الحركات أحيانًا بإسم الإصلاح الأول في تاريخ التشيك. على الرغم من تأثير حركات الإصلاح الألمانيَّة والسويسريَّة واصل الإصلاح البوهيمي النمو حتى تم قمعه خلال الثورة البوهيمية في عام 1620. ظلّت التشيك كاثوليكية في الغالب حتى القرن السادس عشر، عندما وقعت تحت تأثير الإصلاح البروتستانتي، وتواجدت تاريخيًا جماعات بروتستانتية هامة في البلاد على الأخص الهوسيون. بعد حركة الإصلاح البوهيمي، أصبح معظم سكان التشيك (حوالي 85%) من أتباع جان هوس، وبيتر تشيلسيكي وغيرهم من الإصلاحيين البروتستانت الإقليميين. قرر الملك المنتصر فرديناند الثاني إجبار كل مواطن في بوهيميا ومورافيا أن يكون من أتباع الكنيسة الرومانيَّة الكاثوليكيَّة تماشيًا مع مبدأ صلح أوغسبورغ عام 1555 "Cuius regio, eius religio" الذي سمح للأمراء الألمان باختيار إما اللوثرية أو الكاثوليكية ضمن أراضيهم، وتنتهي بتأكيد استقلالهم بدولهم. انتهى الإصلاح البوهيمي وانتشر في العالم البروتستانتي وفقد تدريجيُا تميزه.[60]
جلبت الهزيمة التي ألحقت بالبوهيميين في معركة الجبل الأبيض تغييرات دينية جذرية وبدأت سلسلة من الإجراءات المكثفة التي اتخذتها أسرة هابسبورغ الكاثوليكيَّة من أجل إعادة السكان التشيكيين إلى الكنيسة الرومانية الكاثوليكية. بعد استعادة آل هابسبورغ السيطرة على بوهيميا، تم تحويل الشعب التشيكي قسرًا إلى الكنيسة الرومانية الكاثوليكية. وتم طرد جميع أنواع المجتمعات البروتستانتية بما في ذلك فروع مختلفة من الهوسيون واللوثريين والإصلاحيين. على الرغم بقاء الكنيسة الكاثوليكية أكبر تجمع ديني في البلاد الا أنّ التشيك تاريخيًا انفصلت عن الكنيسة لأسباب قومية، بسبب سيادة آل هابسبورغ الكاثوليك، ومع تفكك الإمبراطورية النمساوية المجرية ظهرت الحركة الجماهيرية الشعبية المعاداة للنمسا وسيطرة رجال الدين.[61]
وعلى الرغم من صدور براءة التسامح في عام 1781 من قبل الإمبراطور جوزيف الثاني الا أن هذا لم يؤد إلى احياء الإصلاح البوهيمي. حيث لم يقدر الإمبراطور جوزيف الثاني التقاليد الدينية البوهيمية، وبالتالي أعترف قانونيًا في أراضي تاج بوهيميا فقط باللوثرية، والكالفينية والأرثوذكسية الشرقية. ومن الكنائس التي حافظت على إرث الإصلاح البوهيمي كانت الكنيسة المورافية (بالتشيكيّة: Moravští bratři) وهي أقدم طائفة بروتستانتية. اسم هذه الكنيسة أتى من أتباعها الذين نفيوا إلى سكسونيا في سنة 1722 وألذين أتوا من مورافيا وألتي تقع في جنوب شرق التشيك. وتأسست عام 1457 على يد يان هوس في كونفالد في بوهيميا، وقد عانى أتباع هذه الطائفة من الإضطهاد من قبل الإمبراطورية الرومانية المقدسة ومنهم يان هوس نفسه مؤسس الطائفة ألذي حكم بالإعدام بتهمة الهرطقة وقد تم إعدامه حرقًا وقد حث المورافيين على الوحدة المسيحية والتقوى الشخصية والتبشير والترتيل.
تلقت الكنيسة الكاثوليكية الدعم من ملوك آل هابسبورغ، ومع انتشار حركات الإصلاح البروتستانتي قامت الكنيسة الكاثوليكيَّة بالإصلاح المضاد، ووصل اليسوعيين إلى البلاد ولعبوا دورًا برفع مستوى التعليم في البلاد؛ بالإضافة إلى الوعظ وتشغيل المدارس والمستشفيات، في حين كان مسؤولية الرهبان الدومينيكان البحث عن ومحاكمة الخارجين عن العقيدة الكاثةليكيَّة.[62] وفي نفس الفترة قام القساوسة البروتستانت بترجمة الليتورجيا والكتاب المقدس للغة التشيكيَّة ودعيت النسخة الأولى من الكتاب المقدس بإسم نسخة كراليس. ونشرت الترجمة التشيكية من الكتاب المقدس لأول مرةفي ستة مجلدات بين عام 1579 وعام 1593.[63]
العصور الحديثة
في عام 1775 أعطت الامبراطورة ماريا تيريزا إذن رسمي لأتباع الكنيسة الأرمنية الكاثوليكية ليستقروا في الإمبراطورية النمساوية ومن ضمنها الأراضي التشيكيَّة. ومثل جميع أعضاء بيت آل هابسبورغ، كانت ماريا تيريزا كاثوليكيَّة تقيَّة. وأعربت عن اعتقادها بأن الوحدة الدينية ضرورية لحياة عامة سلميَّة ورفضت فكرة التسامح الديني. ومع ذلك، فإنها لم تسمح للكنيسة بالتدخل في الحياة السياسيَّة، وقامت بتأكيد لقبها الحاكم الحبري الذي أتخذته من الكرسي الرسولي في عام 1758 كتأكيد على سُلطتها السياديَّة في المسائل الكنيسة.[64] وبناءًا على ذلك، أعادت تنظيم الأبرشيات الكاثوليكية دون موافقة الكرسي الرسولي، وأجرت إصلاحًا تعليميًا أنشأ نظامًا إلزاميًا للمدرسة، منفصلاً عن الكنيسة.[65][66] وإبان الإمبراطورية النمساوية الهنغارية كانت التشيك جزءًا من النصف النمساوي في المملكة. وفي عام 1781 في عصر التنوير النمساوي، أصدر الإمبراطور جوزيف الثاني براءة التسامح التي سمحت في حرية العبادة في الإمبراطورية. أعلنت الحرية الدينية كحق دستوري وعززت مكانتها في الإمبراطورية النمساوية المجرية في عام 1867 كان النظام الملكي موطن لديانات عديدة بجوار الكنيسة الرومانية الكاثوليكية مثل الكنائس الكاثوليكية الشرقية، والكنيسة الصربية الأرثوذكسية، والكنيسة الرومانية الأرثوذكسية، والكنيسة الروسية الأرثوذكسية، والكنيسة البلغارية الأرثوذكسية (أعترفت النمسا بالكنيسة قبل اعتراف الدولة العثمانية بها بعدة قرون)، ومن الكنائس البروتستانتية كل من الكالفينية واللوثرية إلى جانب الديانة اليهودية. قام جوزيف الثاني (1780-1790) بحل جميع الجماعات الرهبانية التي لم تشارك في التدريس والتعليم،[67][68] واستخدمت ممتلكاتهم لإنشاء عدد من الرعايا الجديدة، وفتح مدارس ابتدائية جديدة. كما انتهى الإصلاح المضاد عندما أصدر جوزيف الثاني وثيقة التسامح في عام 1781.[67] وأزال معظم القيود المفروضة على العبادة غير الكاثوليكيَّة.[67] وتمكن المؤمنين البروتستانت والأرثوذكس من أن يكونوا مؤهلين للخدمة في المكاتب الحكومية.[67] في العقد المقبل سعى الكهنة الكاثوليك إلى تخليص أنفسهم من ما اعتبروه "كنيسة جوزيفينيست"، وبالتالي ظهرت أفكار أولترامونتانيسم بينهم.[69]
في 8 يناير من عام 1920 إنفصلت الكنيسة الهوسية التشيكوسلوفاكية عن الكنيسة الرومانية الكاثوليكية في حقبة دولة تشيكوسلوفاكيا، وإتبعت تعاليم المصلحين الهوسيين مثل يان هوس، هذه الكنيسة تأسست بدعم من رئيس تشيكوسلوفاكيا توماس ماساريك.[70] وبعد مؤتمر بريشوف عام 1950 عاد قسم آخر من التشيكيين المتكثلكين للأرثوذكسية كهنةً وشعبًا، فنمت كنيسة التشيك وسلوفاكيا الأرثوذكسية بما فيه الكفاية لتكوين أربع أسقفيات محلية وهي أسقفية براغ، وأسقفية أولوموتس، وأسقفية بريشوف وأسقفية ميخالوفتسي. واعترفت عندها الكنيسة الروسية الأرثوذكسية باستقلالية كنيسة تشيكوسلوفاكيا. خلال فترة محاولة التحرر من النظام الشيوعي والتي قاد حركتها ألكسندر دوبتشيك عام 1968، سببت أزمة الهوية بين الأرثوذكسية والتدخل والنفوذ الروسي السوفييتي بخسارة الكنيسة التشيكية الأرثوذكسية لعددٍ كبيرٍ من أتباعها لصالح الكاثوليكية والذين كانوا أساسًا من معتنقيها فيما مضى، فظهرت حينها الكنيسة اليونانية الكاثوليكية بشكل رسمي مسببة تقلص عدد الأرثوذكس في البلاد. على الرغم من أنه في عام 1947 تم إلغاء جميع أشكال التمييز ضد الطوائف الدينية، أصبحت الأنشطة الكنيسة تخضع لإشراف الدولة نتيجة لتطبيق النظام الشيوعي.
خلال توحيد تشيكوسلوفاكيا صادرت الحكومة الشيوعية معظم ممتلكات الكنيسة، على الرغم من أن بعضهم عاد لاحقًا. استولى النظام الشيوعي على السلطة في عام 1948 في ما كان يعرف آنذاك تشيكوسلوفاكيا، عانى المسيحيين والكهنة من الإضطهادات وصودرت جميع ممتلكات الكنائس. ثم سمح للكنائس بالعمل فقط تحت سيطرة الدولة الصارمة وثم الإشراف ودفع رواتب الكهنة من قبل الدولة. تم سجن أو إعدام عدد من الكهنة وذلك بسبب اقامة الشعائر الدينية بعيداً عن إشراف الشرطة السرية. إن السياسة الشيوعية المعتمدة على الأيديولوجية الماركسية اللينينة، جعلت الإلحاد المذهب الرسمي لتشيكوسلوفاكيا، وقد دعت الماركسية اللينينية باستمرار السيطرة والقمع، والقضاء على المعتقدات الدينية. وكانت الدولة ملتزمة بهدم الدين، ودمرت الكنائس والمساجد والمعابد، سَخِرت من القيادات الدينينة وعرضتهم للمضايقات ونفذت بهم أحكام الإعدام، وأغرقت المدارس ووسائل الإعلام بتعاليم الإلحاد، وبشكل عام روجت للإلحاد على أنه الحقيقة التي يجب على المجتمع تقبلها. بعد الثورة المخملية، عادت ممتلكات بعض الكنائس والأديرة.[71]
بعد سقوط النظام الشيوعي، لم تعد الدولة تتدخل في شؤون الكنيسة بعد مرور قانون جديد بشأن الدين في عام 1990. بزر تناقص ديني بين الشعب التشيكي والسلوفاكي في تشيكوسلوفاكيا، بينما اتسم الشعب التشيكي تاريخيًّا بالتسامح ولا مبالاة تجاه الدين، كان السلوفاك من المتدينين وأكثر ارتباطًا بالهوية الكاثوليكية. وكان تأثير النظام الشيوعي سلبي على الحياة الدينية، وذلك على النقيض من البولنديين، حيث شهدت بولندا عودة إلى الدين والكاثوليكية بعد الحكم الشيوعي وحضور هام للدين في الحياة البولنديّة. ومع تأسيس جمهورية التشيك انخفضت نسبة أتباع الكاثوليكية من عام 1993 إلى عام 2001 انخفضت نسبة أتباع الكاثوليكية من 39% إلى 26.8% ومن ثم إلى 10.3%؛ وبالمثل انخفضت نسبة البروتستانت من 3.7% إلى 2.1% ثم إلى 0.8%.[72] يُعتبر الكاثوليك أكبر المجموعات المسيحية في البلاد ويبلغ عددهم حوالي هناك 1,080,000 ويمثلون حوالي عٌشر مجموع السكان (تعداد 2011). هناك ثمانية من الأبرشيات في البلاد. وبالإضافة إلى ذلك، هناك سلطة دينية منفصلة لأولئك المنتمين إلى الطقوس البيزنطية الشرقية. وأصبحت كنيسة التشيك وسلوفاكيا الأرثوذكسية مستقلة عن بطريركية القسطنطينية المسكونية عام 1998، وهي مؤلفة من ثلاث أسقفيات يتبع لها أربعة أديرة، وتعتمد هذه الكنيسة التي يقدر عدد أتباعها بمئة وخمسين ألفًا بشكل كبير على البطريركية الروسية.
احصائيات
الطوائف المسيحية
تاريخيًا كانت المسيحية أكبر دين في البلاد، حيث كان جميع التشيكيين تقريبًا من المسيحيين حتى القرن التاسع عشر. لكن مع تأثير النظام الشيوعي وسياسة إلحاد الدولة وحملة مناهضة المسيحية والإضطهادات بدأت المسيحية في الإنخفاض منذ القرن العشرين؛ وفي عام 2011 كان فقط 13.9% من سكان التشيك مسيحيين، ومنهم 10.5% كاثوليك و1% بروتستانت.[76] في عام 1921، كان 77.5% من السكان التشيكيين من الرومان الكاثوليك، وأنتمى 7.7% ينتمون إلى الكنيسة الهوسية التشيكوسلوفاكية وهي كنيسة مسيحية بروتستانتية إنفصلت من الكنيسة الرومانية الكاثوليكية بعد الحرب العالمية الأولى، و3.4% إلى الإخوة التشيك، وكان حوالي 0.3% من البروتستانت الآخرين، وحوالي 0.7% يهود، و 0.1% إلى فئة دينية أخرى، وكان 10.3% لادينيين.[77]
بحسب دراسة مركز بيو للأبحاث في عام 2015 عرّف حوالي 26% من سكان التشيك أنفسهم كمسيحيين، بالمقابل 72% من السكان كانوا لادينيين و1% من أتباع الديانات الأخرى، وتوزع المسيحيين بين 21% من أتباع الكنيسة الرومانية الكاثوليكية، وحوالي 4% مسيحيين آخرين و1% من أتباع الكنيسة الأرثوذكسية الشرقية.[78] وفقاً لمركز بيو تربى نحو 34% من السكان على المسيحية، بينما يعتبر 26% من السكان مسيحيين في عام 2017، أي أن حوالي 85% ممن تربوا على المسيحية في جمهورية التشيك، يعرفون عن أنفسهم كمسيحيين اليوم.[79]
الكنيسة الرومانية الكاثوليكية
كانت الكاثوليكية الشكل الرئيسي للمسيحية التي مارسها التشيك بعد تحولهم القسري تحت حكم آل هابسبورغ، وخلال القرنين الثامن عشر والتاسع عشر، وفي عام 1910 كان 96.5% من سكان التشيك رومان كاثوليك. بدأ انخفاض عدد الكاثوليك في التشيك بعد الحرب العالمية وتفكك الإمبراطورية النمساوية المجرية بسبب الحركة الشعبيَّة المعادية للنمسا ولرجال الدين.[80] خلال توحيد تشيكوسلوفاكيا في ظل النظام الشيوعي، صادرت الحكومة معظم ممتلكات الكنيسة، على الرغم من أن بعضهم عاد لاحقًا. بعد سقوط النظام الشيوعي، في عام 1991 كان حوالي 39.0% من التشيك كاثوليك، ولكن الإيمان استمر في الإنخفاض السريع منذ ذلك الحين. واعتبارًا من عام 2011 كان فقط 10.5% من التشيك يعتبرون أنفسهم كاثوليك، وهي نسبة تقرب من نسبة الكاثوليك في إنجلترا ذات الأكثرية البروتستانتية.
إن الاتجاه السريع عن الهوية الكاثوليكية والتحول للادينيَّة في الجمهورية التشيكية يتناقض تناقضًا صارخا مع الوضع في بولندا أو سلوفاكيا أو المجر المجاورة والتي تشهد نهضة روحية كبيرة يث عاد إليها الملايين من سكان هذه الدول ويظهر ذلك في العودة للدين والتردد على الكنائس والصلوات.
البروتستانتية
في القرن الخامس عشر، شكل المصلح الديني والإجتماعي جان هوس حركة إصلاحيَّة سميت لاحقًا بإسمه. اقترح هس فكرة إصلاح الكنيسة في التشيك، واتبعه العديد من الناس في بلاده، وسموا، المعتدلين منهم بالهوسيتيين بينما أطلق اسم التابوريتيين على أتباعه الراديكاليين (التابوريتيون رفضوا أي إجراءات تتبعها الكنيسة لا يوجد لها أصل في الكتاب المقدس). اتهم يان هس من قبل الكنيسة الكاثوليكية بالهرطقة وأعدم حرقًا عام 1415. خلال القرنين التاليين، كان معظم التشيك من أتباع الهوسيين.
بعد 1526 سيطر آل هابسبورغ على بوهيميا بشكل متزايد، وفي عام 1620، تم سحق التمرد في بوهيميا في معركة الجبل الأبيض، وبالتالي تم تعزيز الروابط بين بوهيميا والأراضي التابعة لأسرة هابسبورغ في النمسا. وكان للحرب أثار مدمر على السكان المحليين؛ حيث اضطر الناس إلى التحول من البروتستانتية إلى الكاثوليكية.
حاليًا تعد البروتستانتية أقلية صغيرة في البلاد بنسبة 1% في عام 2010، منهم 0.5% منضمين إلى الكنيسة الإنجيلية الإخوة التشيك، 0.4% إلى الكنيسة الهوسية التشيكوسلوفاكية، و 0.1% إلى كنيسة سيليزيا الإنجيلبة اعتراف أوغسبورغ.[76] الكنيسة المورافية والتي ترتبط تاريخيًا بالمنطقة، هي أيضا موجودة مع عدد قليل من الأعضاء.
الوضع الديني
المعتقدات
وجدت دراسة قامت بها مركز بيو للأبحاث عام 2015 أنَّ حوالي 29% من التشيكيين يؤمنون في الله، وحوالي 23% منهم يعتبرون للدين أهميَّة في حياتهم،[78] وقد وجدت الدراسة التي قامت بها مركز بيو للأبحاث عام 2015 أنَّ حوالي 22% من التشيكيين الكاثوليك يُداومون على حضور القداس على الأقل مرة في الأسبوع، بالمقارنة مع 14% يُداومون على على حضور القداس على الأقل مرة في الشهر أو السنة. في حين أنَّ 32% من التشيكيين الكاثوليك يُداومون على الصلاة يوميًا.[78]
الإلتزام الديني
وقد وجدت الدراسة أيضًا أنَّ حوالي 41% من التشيكيين الكاثوليك يُداوم على طقس المناولة ويصوم حوالي 51% خلال فترات الصوم.[78] ويقدم حوالي 13% منهم الصدقة أو العُشور،[78] ويقرأ حوالي 25% الكتاب المقدس على الأقل مرة في الشهر، في حين يشارك 29% معتقداتهم مع الآخرين. ويملك حوالي 75% من التشيكيين الكاثوليك أيقونات مقدسة في منازلهم، ويضيء حوالي 57% الشموع في الكنيسة، ويرتدي 46% الرموز المسيحيَّة.[78] عمومًا حصل حوالي 94% من مجمل التشيكيين الكاثوليك على سر المعمودية.[78]
الهوية
قال حوالي 21% من التشيكيين أن كون المرء مسيحيًا هو جزءًا "هامًا ومركزي" أو إلى "حد ما" من الهوية الوطنية.[79] ينقسم التشيكيين الكاثوليك بين أولئك الذين يقولون أن جوهر هويتهم المسيحيَّة هي في المقام الأول مسألة دينيَّة (37%)،[78] وأولئك الذين يقولون أن هويتهم المسيحيَّة مرتبطة أساسًا بالتقاليد العائلية أو الهوية الوطنية (49%)،[78] وأولئك الذين يقولون أنَّ هويتهم المسيحيَّة هي مزيج من الدين والتقاليد العائلية أو الهوية الوطنية (12%).[78]
بحسب الدراسة أعرب حوالي 86% من التشيكيين الكاثوليك بأنَّ هويتهم المسيحيَّة هي مصدر فخر واعتزاز بالنسبة لهم،[78] في حين قال 64% من التشيكيين الكاثوليك أنَّ لديهم شعور قوي بالإنتماء للمجتمع الكاثوليكي في العالم.[78]
صور
صور من الثقافة المسيحية في جمهورية التشيك.
كاتدرائية القديس فيتوس، قلعة براغ.
يسوع طفل براغ.
جسر تشارلز في براغ.
عمود الثالوث المقدس في أولوموتس.
كنيسة القديس بروكوبيوس، وهي من مواقع التراث العالمي.
سوق عيد الميلاد، في براغ.
مغارة الميلاد التقليدية التشيكية.
كعك عيد الميلاد تقليدي تشيكي.
كنيسة القديسة بربارة في كوتنا هورا.
عمود الثالوث المقدس في أولوموتس.
مراجع
انظر أيضًا
المسيحية في سلوفاكيا
تشيك
تصنيف:المسيحية في التشيك
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D8%A7%D9%84%D9%85%D8%B3%D9%8A%D8%AD%D9%8A%D8%A9%20%D9%81%D9%8A%20%D8%A7%D9%84%D8%AA%D8%B4%D9%8A%D9%83 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
335,
1682,
3407,
3742,
3882,
4015,
4177,
5053,
6033,
8054,
8429,
9831,
10170,
10475,
12716,
14841,
15424,
16563,
17538,
18215,
19166,
19365,
19823,
20054,
21038,
21198,
23382,
24763,
24988,
25679,
26162,
27012,
27454,
28659,
28826,
31335,
31853,
32052,
32160,
33583
],
"plaintext_end_byte": [
277,
1681,
3335,
3678,
3843,
3979,
4132,
5025,
5993,
8053,
8328,
9680,
10065,
10352,
12343,
14767,
15321,
16415,
17456,
18130,
19121,
19286,
19726,
19951,
20949,
21140,
23306,
24392,
24917,
25587,
26161,
26859,
27331,
28605,
28797,
31271,
31821,
32008,
32119,
33581,
33803
]
} | గుడివాడ పట్టణ విస్తీర్ణం ఎంత? | గుడివాడ | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
గుడివాడ, ఆంధ్ర ప్రదేశ్ రాష్ట్రములోని కృష్ణా జిల్లాకు చెందిన పట్టణం.[1] పిన్ కోడ్ నం. 521 301., ఎస్.టి.డి.కోడ్ = 08674.
గుడివాడ పట్టణ చరిత్ర
ఒకప్పుడు కళింగ రాజు పరిపాలనలో 'గుడివాడ' ఆంధ్రనగరం పేరుతో ప్రసిద్ధి చెందింది. రాజ్య విస్తరణలో భాగంగా అశోకుడు, కళింగ రాజు పై దండెత్తి ఓడించాడు. అప్పటి వరకు కళింగ రాజు పాలనలో వున్నా ఆంధ్ర ప్రజలు, యుద్ధంలో గెలిచిన అశోక చక్రవర్తిని రాజుగా అంగీకరించారు.[2]
క్రీస్తు పూర్వం రెండు వందల డెబ్బై మూడు నాటికి అశోకుడు పరిపాలించే కాలంలో ఆంధ్ర నగరాలు మూడు పదులు వున్నై. కృష్ణాతీరంలో అశోకుని కాలానికి ఎన్నో బౌద్ధ కేంద్రాలు ప్రసిద్ధి చెందాయి. ఆ కాలంలో కృష్ణా నదికి ఇరువైపులా వున్నా పరచిన గ్రామాలన్నీ బౌద్ధ క్షేత్రాలే.
అమరావతి, భట్టిప్రోలు, నాగార్జునకొండ, జగ్గయ్య పేట, బోడపాడు, చందోలుతో 'గుడివాడ ' కూడా బౌద్ధ కేంద్రాలుగా గుర్తింపబడ్డాయి. కృష్ణా నది తీరంలో బౌద్ధ స్థూపాలను నిర్మించటానికి, బౌద్ధ మతం ప్రచారం పొందటానికి అశోకుడే కారణం. బుద్ధుని అస్తికలను నిక్షిప్తం చేసి,మహా చైత్యాలుగా మార్చాడు. చైత్యం అంటే 'చితి' కి సంబంధించిన ఎముకలని నిక్షిప్తం చేసిన స్తూపం. 1984 లో 'రీ' అనే పరిశోధకుడు, దాక్షిణాత్య బౌద్ధ శిల్పాలు - భట్టిప్రోలు, ఘంటసాల, గుడివాడ పురాతన స్తూపాలు' అన్న నివేదిక సమర్పించాడని,ఆ నివేదికను పుణీలో నార్ల వారు చదివానని చెప్పగా తెలిసింది. అందులో గుడివాడ 'దీపాల దిబ్బ' లో దొరికిన విదేశీ నాణాలు, బౌద్ధ క్షేత్ర ప్రాచీనతని తెలియ చేస్తోంది.
గుడివాడ పేరు వెనుక చరిత్ర
గుడివాడని పూర్వం గుళ్ళవాడ అనేవారు. అది కాలక్రమేన గుడివాడగా మారింది. ఈ పట్టణములో చాలా గుడులు ఉన్నాయి.
గుడివాడ పట్టణ భౌగోళికం
[3]
సముద్రమట్టానికి 11 మీ.ఎత్తుTime zone: IST (UTC+5:30)
సమీప గ్రామాలు
గుడివాడ, హనుమాన్ జంక్షన్, పెడన, ఏలూరు
సమీప మండలాలు
నందివాడ, పెదపారుపూడి, గుడ్లవల్లేరు, పామర్రు
రవాణా సౌకర్యాలు
గుడివాడ పట్టణము నుండి దగ్గర, దూర అన్నిప్రాంతముల వైపులకు బస్సు, రైలు తదితర రవాణా సౌకర్యములు ఉన్నాయి.
గుడివాడ ప్రాంతము నుండి భీమవరం, రాజొలు, నర్సాపురం, విశాఖపట్నం, బెజవాడ, తిరుపతి, బెంగులురు, హైదరాబాదు మరియు మచిలీపట్నం రైల్వే మరియు బస్ వసతులు ఉన్నాయి.
ఈ పట్టణము నుండి దాదాపుగా 30-35 కి.మీ. దగ్గరలో గన్నవరం విమానాశ్రయము ఉంది.
రైలు వసతి
గుడివాడ రైల్వే జంక్షన్.
గుడివాడ - విజయవాడ - భీమవరం - నరసాపురం - మచిలీపట్నం రైల్వే ట్రాక్ డబుల్ మరియు విధుయుతీకరణ లేక పోవటం ప్రధాన సమస్య.
గుడివాడ ప్రాంతం నుండి తిరుపతి,విశాఖపట్నం,ముంబై,షిరిడి,పురి,భిలాసాపూర్,భువనేశ్వర్,విజయవాడ మరియు హైదరాబాదు రైళ్లు ఉన్నాయి.
గుడివాడ - విజయవాడ - భీమవరం - నరసాపురం - మచిలీపట్నం రైల్వే ట్రాక్ డబుల్ ట్రాక్ పనులు మొదలపెట్టేరు
సాధారణ బండ్లు
విజయవాడ - గుడివాడ ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 77213
విజయవాడ - మచిలీపట్నం ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 77215
విజయవాడ - మచిలీపట్నం ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 77206
గుంటూరు - నరసాపురం ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 57381
విజయవాడ - మచిలీపట్నం ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 77212
గుడివాడ - మచిలీపట్నం ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 77219
విజయవాడ - మచిలీపట్నం ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 77207
విజయవాడ - గుడివాడ ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 77201
విశాఖపట్నం - మచిలీపట్నం ప్యాసింజర్ రైలుబండి నంబరు:: 57230
రైళ్లు వివరములు:
17049 - మచిలీపట్నం నుండి సికందరాబాద్.
17255 - నరసాపురం నుండి హైదరాబాదు.
17213 | 17231 - నరసాపురం నుండి నాగర్సొల్.
17210 - కాకినాడ నుండి బెంగళూరు.
17644 - కాకినాడ నుండి చెన్నపట్నం.
18519 - విశాఖపట్నం నుండి ముంబాయి.
17015 - విశాఖపట్నం నుండి హైదరాబాదు.
17404 - నరసాపురం నుండి తిరుపతి.
17479 - పూరి నుండి తిరుపతి.
17481 - భిళాస్పుర్ నుండి తిరుపతి.
గుడివాడ, వెంట్రప్రగడ నుండి రోడ్దురవాణా సౌకర్యం ఉంది. ఇదిరిఅల్వెజంక్షన్ విజయవాడ రైల్వేస్టేషన్: 44 కి.మీ
గుడివాడ పట్టణంలోని విద్యా సౌకర్యాలు
ఏ ఎన్ ఆర్ ఆర్ట్స్ అండ్ సైన్స్ కళాశాల (అక్కినేని నాగేశ్వరరావు గారిచే స్థాపితము),
వి.కె.ఆర్ మరియు వి.ఎన్.బి పాలిటెక్నిక్ కళాశాల. మరియు ఇంజనీరింగ్ కళాశాల కూడా ఉంది.
డాక్టర్ గురురాజు ప్రభుత్వ హొమియోపతీ వైద్య కళాశాల (1945లో స్థాపితము దక్షిణ భారతదేశంలో ప్రథమ హొమియోపతీ వైద్య కళాశాల).
కొండపల్లి తాతిరెడ్డి మహిళా కళాశాల.
గుడివాడ పట్టణంలో ఇంకా అనేక కాలేజీలు ఉన్నాయి. అందులో ముఖ్యంగా విద్యాలయ, శ్రీ విద్య, కేవి కామర్సు, బాబు సిద్ధార్ధ మొదగునవి
విశ్వ భారతి ఇంగ్లీష్ మీడియం హై స్కూల్
గుడివాడ పట్టణంలోని మౌలిక సదుపాయాలు
త్రాగునీటి సౌకర్యం
ప్రధాన త్రాగునీటి సరఫరా కేంద్రంలో, 106 ఎకరాలలో విస్తరించియున్న సమ్మర్ స్టోరేజ్ ట్యాంక్.
వైద్య సౌకర్యం
ప్రాంతీయ ఆరోగ్య కేంద్రం
ఈ కేంద్రాన్ని 14.46 కోట్ల రూపాయల అంచనా వ్యయంతో అభివృద్ధిచేయనున్నారు. [9]
గిరిరాజా ప్రభుత్వ హోమియో వైద్యశాల
బ్యాంకులు
అలహాబాదు బ్యాంక్, బస్ స్టాండ్ ఎదురుగా ఉన్న కిన్నెర్ కాంప్లెక్స్, గుడివాడ.
ఐసీఐసీఐ బ్యాంకు
యాక్సిస్ బ్యాంకు
కరూర్ వైశ్యా బ్యాంక్
సిటీ యూనియన్ బ్యాంకు
ఐ.డి.బి.ఐ.బ్యాంక్.
ఆంధ్ర బ్యాంకు మెయిన్ బ్రాంచ్
ఆంధ్ర బ్యాంకు కె టీ ర్ కాలేజీ బ్రాంచ్
ఆంధ్ర బ్యాంకు ఏ యాన్ ర్ భూషణ్ గుళ్లు బ్రాంచ్
ఆంధ్ర బ్యాంకు వలెవర్తిపాడ్ బ్రాంచ్
స్టేట్ బ్యాంకు అఫ్ ఇండియా మెయిన్ బ్రాంచ్
స్టేట్ బ్యాంకు అఫ్ ఇండియా బజార్ బ్రాంచ్
స్టేట్ బ్యాంకు అఫ్ ఇండియా గౌరీశంకరపురం బ్రాంచ్
స్టేట్ర్ బ్యాంకు అఫ్ ఇండియా రాజేంద్రనగర్ బ్రాంచ్
ఇండియన్ బ్యాంకు
ఇండియన్ ఓవెర్సెస్ బ్యాంకు
బ్యాంకు అఫ్ ఇండియా
బ్యాంకు అఫ్ బరోడా
కెనరా బ్యాంకు
విజయ బ్యాంకు
సిండికేట్ బ్యాంకు
కోస్టల్ బ్యాంకు
సెంట్రల్ బ్యాంకు అఫ్ ఇండియా
యూనియన్ బ్యాంకు అఫ్ ఇండియా
గుడివాడ పట్టణ పరిపాలన
గుడివాడ పట్టణములోని దర్శనీయ ప్రదేశములు/దేవాలయాలు
శ్రీ విఘ్నేశ్వరస్వామివారి ఆలయం
శ్రీ వెంకటేశ్వరస్వామివారి ఆలయం
ఇక్కడ ఉన్న శ్రీ వెంకటేశ్వర వారి ఈ దేవాలయము ప్రసిద్ధి కల దేవాలయము. ఇక్కడ స్వామి వారి కల్యాణము ఒక పేద్ద మహొత్సవంలా జరుగుతాయి. ఈ ఆలయంలో, 2014,నవంబరు-3, సోమవారం నుండి, 6వ తేదీ గురువారం వరకు, స్వామివారి వార్షిక పవిత్రోత్సవాలు వైభవంగా నిర్వహించారు. ఈ సందర్భంగా, 6వ తేదీ గురువారం నాడు, స్వామివారికి స్నపనం, విశేష అలంకరణ, వేదవిన్నపం, చతుస్థానార్చన, సర్వ ప్రాయశ్చిత్త హోమాలు నిర్వహించారు. ద్వారతోరణబలి, మహా పూర్ణాహుతి, పవిత్ర అవరోహణం, అనంతరం 108 కలశాలతో క్షీరాభిషేకం నిర్వహించారు. మన గుడి కార్యక్రమం క్రింద తిరుమల తిరుపతి దేవస్థానం నుండి వచ్చిన ప్రసాదాలను స్వామివారికి నైవేద్యంగా సమర్పించారు. అనంతరం అన్నదానసత్రంలో కార్తీక వనసమారాధన నిర్వహించారు. [3]
ఈ ఆలయంలో స్వామివారి వార్షిక బ్రహ్మోత్సవాలు, ప్రతి సంవత్సరం, జ్యేష్ఠమాసంలో, శుద్ధ దశమి నుండి పౌర్ణమి వరకు వైభవంగా నిర్వహించెదరు. [5]
శ్రీ నాగమ్మ తల్లి దేవాలయము
సింగరెపాలెం నాగమ్మ తల్లి దేవాలయము బాగా ప్రసిద్ధి చెందిన దేవాలయము. ఇక్కడకి భక్తులు ఎక్కువగా వస్తూ ఉంటారు. ఇక్కడ ఉన్న నాగమ్మ తల్లి బాగా మహిమ కల దేవతగా ఇక్కడ ఉన్న ప్రజలు కొలుస్తారు.
శ్రీ ఉమానాగలింగేశ్వరస్వామివారి ఆలయం
ఈ ఆలయంలో 2014,నవంబరు-6వ తేదీ రాత్రి, కార్తీకపౌర్ణమి సందర్భంగా, నాలుగున్నర కోట్ల దీపాలతో దీపోత్సవాన్ని నిర్వహించారు. పురవీధులలో ఉత్సవ విగ్రహాన్ని ఊరేగించారు. భక్తులు వేలాదిగా వెంటరాగా, ఆలయం ఎదుట జ్వాలాతోరణాన్ని వెలిగించారు. జ్వాలాతోరణం విభూతిని వ్యాపారం నిర్వహించే దుకాణాలలోగానీ, ఇళ్ళలోగానీ ఉంచితే అష్టైశ్వర్యాలు, ఆయురారోగ్యాలు కలుగుతవని ఆలయ పురోహితులు తెలిపినారు. [4]
శ్రీ రుక్మిణీ సత్యభామా సమేత వేణుగోపాలస్వామివారి ఆలయం
ఈ ఆలయ అష్టమ వార్షికోత్సవాన్ని పురస్కరించుకొని, 2017,మార్చి-13వతేదీ సోమవారంనాడు, ఆలయంలో వేడుకలను ఘనంగా నిర్వహించనున్నారు. ఇందుకోసం ఆలయాన్ని సుందరంగా అలంకరించారు. ఈ కార్యక్రమంలో భాగంగా స్వామివారికి రుద్రాభిషేకం, అమ్మవారికి కుంకుమార్చనలు, శాంతికళ్యాణం అనంతరం అన్నసమారాధన నిర్వహించెదరు. 14వతేదీ మంగళవారంనాడు నగరోత్సవం నిర్వహించెదరు. []
శ్రీ భీమేశ్వరస్వామివారి ఆలయం
ఈ ఆలయంలో 2016,ఫిబ్రవరి-18వ తేదీ గురువారంనాడు, స్వామివారికి ఎదురుగా పంచలోహ నందీశ్వరుని విగ్రహాన్ని ప్రతిష్ఠించారు. గుడివాడ పట్టణానికి చెందిన శ్రీ రెడ్డి లోకేశ్వరరావు, భాగ్యవతి దంపతులు, ఈ విగ్రహాన్ని ఆలయానికి బహూకరించారు. [13]
శ్రీ వీరాంజనేయస్వామివారి ఆలయం
స్థానిక బంటుమిల్లి రహదారిలోని ఈ ఆలయములో, ప్రతి సంవత్సరం హనుమజ్జయంతి సందర్భంగా మూడురోజులపాటు ఉత్సవాలను వైభవంగా నిర్వహించెదరు. రెండవరోజున స్వామివారు చతుర్భుజ ఆంజనేయస్వామిగా దర్శనమిచ్చెదరు. మూడవరోజున హనుమజ్జయంతినాడు, స్వామివారు పంచముఖాంజనేయస్వామిగా దర్శనమిచ్చెదరు. ఈ మూడురోజులూ ఆలయంలో పలు ఆధ్యాత్మిక కార్యక్రమాలు నిర్వహించెదరు. [5]
శ్రీ శంకరమందిరం
ఈ మందిరం స్థానిక బంటుమిల్లి రహదారిలోని ఉంది.
శ్రీ అయ్యప్పస్వామివారి ఆలయం
ఈ ఆలయ 16వ వార్షికోత్సవాలు, 2015,మే నెల-9,10 తేదీలలో వైభవంగా నిర్వహించారు. రెండవరోజైన ఆదివారంనాడు, విచ్చేసిన భక్తులకు అన్నదానం నిర్వహించారు. [5]
శ్రీ గౌరీశంకరస్వామివారి దేవస్థానం
ఈ ఆలయం గుడివాడ పట్టణంలోని నాలుగవ వార్డులో ఉంది.
శ్రీ ఉమానాగలింగేశ్వరస్వామివారి ఆలయం
ఈ ఆలయ అష్టమ వార్షికోత్సవాన్ని పురస్కరించుకొని, 2017,మార్చి-13వతేదీ సోమవారంనాడు, ఆలయంలో వేడుకలను ఘనంగా నిర్వహించనున్నారు. ఇందుకోసం ఆలయాన్ని సుందరంగా అలంకరించారు. ఈ కార్యక్రమంలో భాగంగా స్వామివారికి రుద్రాభిషేకం, అమ్మవారికి కుంకుమార్చనలు, శాంతికళ్యాణం అనంతరం అన్నసమారాధన నిర్వహించెదరు. 14వతేదీ మంగళవారంనాడు నగరోత్సవం నిర్వహించెదరు. [16]
శ్రీ విజయదుర్గమ్మ అమ్మవారి ఆలయం
ఈ ఆలయం స్థానిక నీలామహల్ రహదారిలో ఉంది.
మూడు ఉపాలయాల సముదాయం
శ్రీ గౌరీశంకరస్వామివారి దేవస్థానానికి చెందిన స్థలంలో, కేవలం దాతల ఆర్థిక సహకారంతో, ఒక కోటిన్నర రూపాయల అంచనా వ్యయంతో, ఒకే ప్రాంగణంలో, నూతనంగా ఈ ఆలయాలు రూపుదిద్దుకున్నవి. ఈ ఆలయాలలో విగ్రహప్రతిష్ఠా కార్యక్రమాలు, 2015,జూన్-4వ తేదీ గురువారంనాడు ప్రారంభించారు. 5వ తేదీ శుక్రవారంనాడు, భక్తులు సమస్త దేవతార్చన పూజలను వైభవంగా నిర్వహించారు. 7వ తెదీ ఆదివారంనాడు, మేళతాళాలు, వేదపండితుల మంరోచ్ఛారణల మధ్య, విగ్రహ, శిఖర ధ్వజస్తంభ ప్రతిష్ఠా కార్యక్రమం ఘనంగా నిర్వహించారు. ఈ సందర్భంగా చిన్న శివాలయంలో స్వామివారి కళ్యాణాన్ని అత్యంత వైభవంగా నిర్వహించారు. వేదపండితులు ఉదయం నుండి, ప్రత్యేకపూజలు నిర్వహించి, ప్రతిష్ఠాపన కార్యక్రమాలు నిర్వహించారు. ఈ కార్యక్రమాలకు భక్తులు వేలాదిగా తరలివచ్చి, స్వామివారిని దర్శించుకొని, విశేష పూజలు నిర్వహించారు. అనంతరం భక్తులకు పెద్ద యెత్తున అన్నసమారాధన నిర్వహించారు. [7]&[8]
శ్రీ బాలకనకదుర్గాదేవి ఆలయం
శ్రీరాంపురంలోని ఈ ఆలయంలో శ్రీ మహాగణపతి, శ్రీ సుబ్రహ్మణ్యేశ్వరస్వామి, శ్రీ బాలకనకదుర్గాదేవి వారల విగ్రహప్రతిష్ఠా మహోత్సవం, 2016,ఫిబ్రవరి-25వ తేదీ గురువారంనాడు ప్రారంభమైనవి. 26వ తేదీ శుక్రవారం ఉదయం 108 కలశాలతో అమ్మవారికి అభిషేకాలు, అమ్మవారి ప్రతిష్ఠా మహోత్సవం, పూర్ణాహుతి, శాంతికళ్యాణం మొదలగు కార్యక్రమాలు వైభవంగా నిర్వహించారు. ఈ కార్యక్రమానికి భక్తులు అధిక సంఖ్యలో విచ్చేసారు. [14]
శ్రీ వల్లీ దేవసేన సమేత శ్రీ అనంత సుబ్రహ్మణ్యేశ్వరస్వామివారి ఆలయం
శ్రీ ప్రసన్నాంజనేయస్వామివారి ఆలయం
శ్రీ బాలబావి గణపతి స్వామివారి ఆలయం
ఈ ఆలయం స్థానిక 9వ వార్డులోని కఠారి రంగనాయకమ్మ వీధిలో ఉంది.
శ్రీ షిర్డీ సాయిబాబా ఆలయం
స్థానిక పామర్రు రహదారిలోని ఈ ఆలయ 19వ వార్షికోత్సవంగా 2015,డిసెంబరు-24వ తేదీ గురువారంనాడు, ఆలయంలోని బాబాకు 108 కలశాలతో క్షీరాభిషేకం, విష్ణు సహస్రనామ పారాయణం, సాయి నక్షత్రమాలిక పఠనం నిర్వహించారు. అనంతరం అన్నసమారాధన నిర్వహించారు. [11]
భగవాన్ శ్రీ వెంకయ్యస్వామి ఆశ్రమం
ఈ ఆశ్రమం కార్మికనగర్ లో, రామాలయం వెనుకనున్నది. ఈ ఆశ్రమంలో స్వామివారి 33వ ఆరాధనోత్సవాలు, 2015,ఆగష్టు-23,24తేదీలలో వైభవంగా నిర్వహించారు. అనంతరం విచ్చేసిన భక్తులకు అన్నదానం నిర్వహించారు.
[9]
ఈ అశ్రమ మందిర నిర్మాణంలో భాగంగా, దాతల ఆర్థిక సహకారంతో నిర్మించనున్న గోపుర నిర్మాణానికి, 2015,నవంబరు-21వ తేదీ శనివారంనాడు, శంకుస్థాపన కార్యక్రమాన్ని ఘనంగా నిర్వహించారు. 2016,ఫిబ్రవరిలో నిర్మాణాన్ని పూర్తిచేయనున్నారు. శ్రీ జల్లా సుబ్బారావు, ఈ గోపుర నిర్మాణ శిల్పి. [10]
శ్రీ మద్విరాట్ పోతులూరి వీరబ్రహ్మేంద్రస్వామివారి ఆలయం
స్వామివారి 45వ ఆరాధనామహోత్సవాన్ని పురస్కరించుకొని, ఈ ఆలయంలో 2016,మే-7వ తేదీ శనివారంనాడు, ఆలయంలో ఉత్సవాలను ప్రారంభించారు. [15]
ప్రణవాశ్రమం
శ్రీ పార్శ్వనాథస్వామివారి ఆలయం
గుడివాడ పట్టణంలోని మార్వాడి గుడి రహదారిపై ఉన్న ఈ ఆలయంలో, పర్వాపజుషన్ పర్వదినాన్ని పురస్కరించుకొని, మార్వాడీలు, 2017,ఆగష్టు-19 నుండి 27 వరకు ప్రత్యేకపూజా కార్యక్రమాలు నిర్వహించినారు. భక్తులు ఈ 9 రోజులూ ఉపవాస దీక్షలు పాటించినారు. 9వ రోజూ మరియూ ఆఖరి రోజైన 27వతేదీ ఆదివారంనాడు, 18 రకాల పూజా సామాగ్రితో స్వామివారికి అభిషేకాలు నిర్వహించినారు. అనంతరం భక్తులకు అన్న సమారాధన నిర్వహించినారు. ఈ కార్యక్రమాలకు భక్తులు అధికసంఖ్యలో విచ్చేసినారు. [17]
శాసనసభ నియోజకవర్గం
పూర్తి వ్యాసం గుడివాడ శాసనసభ నియోజకవర్గంలో చూడండి.
ప్రముఖులు
కొల్లి ప్రత్యగాత్మ కె.ప్రత్యగాత్మ గా ప్రసిద్ధిచెందిన కోటయ్య ప్రత్యగాత్మ (1925 అక్టోబర్ 31 - 2001 జూన్ 6) (ఆంగ్లం: Kotayya Pratyagatma) తెలుగు సినిమా దర్శకుడు. ఈయన 1925 అక్టోబర్ 31 న గుడివాడలో జన్మించారు.
అట్లూరి సత్యనాథం ఇర్విన్ లోని యూనివర్సిటీ ఆఫ్ కాలిఫోర్నియాలో యూసీఐ డిస్టింగ్విష్డ్ ప్రొఫెసర్ గాను, ఏరోస్పేస్ మరియు మెకానికల్ రంగాలలో పరిశోధనలు చేస్తున్నారు. భారతదేశంలో మూలాలు కలిగిన ఆయన ప్రస్తుతం సంయుక్త అమెరికా రాష్ట్రాల పౌరుడు. ఈయన యూనివర్సిటీలో చదివించే, పరిశోధనలు చేసే రంగాలు: కాంప్యుటేషనల్ మాథ్మేటిక్స్, థీరిటికల్, అప్లైడ్ అండ్ కాంప్యుటేషనల్ మెకానిక్స్ ఆఫ్ సాలిడ్స్ అండ్ ఫ్లుయిడ్స్ అట్ వేరియస్ లెన్త్ అండ్ టైం స్కేల్స్; కంప్యూటర్ మోడలింగ్ ఇన్ ఇంజనీరింగ్ అండ్ సైన్సెస్;మెష్లెస్ అండ్ అదర్ నోవల్ కంప్యుటేషనల్ మెథడ్స్; స్ట్రక్చరల్ లాంగెవిటీ, ఫైల్యూర్ ప్రివెన్షన్, అండ్ హెల్త్ మేనేజ్మెంట్. బహుముఖ ప్రజ్ఞాశాలి.
ఎం.కుటుంబరావు హోమియోపతి వైద్య శాస్త్ర నిపుణులు. గిరిరాజా ప్రభుత్వ హోమియో వైద్యశాలకు ప్రిన్సిపాల్ గా వ్యవహరించారు.
గుడివాడ పట్టణ విశేషాలు
గుడివాడ పట్టణంలోని గౌతం కాన్సెప్ట్ పాఠశాల సమీపంలో, సర్వే నం.175,176 లలో శ్రీ కాళహస్తి దేవస్థానానికి చెందిన 12 ఎకరాల భూములు ఉన్నాయి. ఈ భూములను, 2012 నుండి రెవెన్యూశాఖ పర్యవేక్షించుచున్నది. [12]
చిత్రమాలిక
17050 సికింద్రాబాదు - మచిలీపట్నం ఎక్స్ప్రెస్ - గుడివాడ వద్ద.
ఇవి కూడా చూడండి
వికాస విద్యా వనం, విజయవాడ
మూలాలు
వనరులు
[3] ఈనాడు కృష్ణా; 2014,నవంబరు-7; 15వపేజీ.
[4] ఈనాడు కృష్ణా; 2014,నవంబరు-8; 16వపేజీ
[5] ఈనాడు అమరావతి; 2015,మే-11; 29వపేజీ.
[6] ఈనాడు అమరావతి; 2015,మే-24; 35వపేజీ.
[7] ఈనాడు అమరావతి; 2015,జూన్-4; 29వపేజీ.
[8] ఈనాడు అమరావతి; 2015,జూన్-8; 29వపేజీ.
[9] ఈనాడు అమరావతి; 2015,ఆగష్టు-235; 25వపేజీ.
[10] ఈనాడు అమరావతి; 2015,నవంబరు-22; 29వపేజీ.
[11] ఈనాడు అమరావతి; 2015,డిసెంబరు-25; 25వపేజీ.
[12] ఈనాడు అమరావతి; 2016,జనవరి-24; 32వపేజీ.
[13] ఈనాడు అమరావతి/గుడివాడ; 2016,ఫిబ్రవరి-19; 1వపేజీ.
[14] ఈనాడు అమరావతి/గుడివాడ; 2016,ఫిబ్రవరి-27; 1వపేజీ.
[15] ఈనాడు అమరావతి/గుడివాడ; 2016,మే-8; 2వపేజీ.
[16] ఈనాడు అమరావతి/గుడివాడ; 2017,మార్చి-12; 2వపేజీ.
[17] ఈనాడు అమరావతి/గుడివాడ; 2017,ఆగష్టు-28; 1వపేజీ.
వర్గం:ఆంధ్ర ప్రదేశ్ నగరాలు మరియు పట్టణాలు
వర్గం:ఆంధ్ర ప్రదేశ్ బౌద్ధమత క్షేత్రాలు | https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%97%E0%B1%81%E0%B0%A1%E0%B0%BF%E0%B0%B5%E0%B0%BE%E0%B0%A1 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
199,
582,
709,
809,
947
],
"plaintext_end_byte": [
198,
581,
696,
783,
945,
990
]
} | Mikä on Norjan korkein kohta? | Galdhøpiggen | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
1
],
"minimal_answers_end_byte": [
14
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Galdhøpiggen on Norjan ja Pohjois-Euroopan korkein vuori. Vuori sijaitsee Jotunheimenin vuoristoalueella Lomin kunnassa Opplandin läänissä. Vuoren huippu on 2469 metriä merenpintaa ylempänä.
Ensimmäisen kerran Galdhøpiggenin huipulle kiivettiin onnistuneesti 1850.[1] Nykyään sadat henkilöt nousevat päivittäin vuoren huipulle huippusesongin aikana. Tavallisimpia reittejä huipulle on Spiterstulenin (1104 m) tai Juvasshyttan (1841 m) kautta. Juvasshyttan kautta kulkeva reitti ylittää vaarallisen jäätikön ja sen ylittämiseen tarvitsee köysiä sekä oppaan.
Skandinavian korkeimpana vuorena Galdhøpiggenin prominenssi on myös Skandinavian suurin, kaikkiaan 2372 metriä.
Katso myös
Luettelo suurimmista prominensseista
Luettelo maiden korkeimmista kohdista
Lähteet
Kirjallisuutta
Helgesen, Morten & Helgesen, Julia 2013: Norges Fjelltopper over 2000 meter. - Glittertind Forlag AS. Skrautvål. ISBN 978-82-997013-7-2
Luokka:Opplandin läänin vuoret
Luokka:Lom
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Galdh%C3%B8piggen |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
432,
596,
1196,
1689,
2401,
3165,
3304,
3769,
4116,
4884,
5351,
6039,
6762,
7295,
7732,
8370,
8849,
9791,
12041,
12917,
13565,
13817,
14380,
14668,
14928
],
"plaintext_end_byte": [
431,
595,
1171,
1688,
2400,
3164,
3303,
3768,
4115,
4883,
5330,
6038,
6761,
7294,
7731,
8369,
8838,
9790,
12040,
12898,
13527,
13802,
14364,
14644,
14926,
14964
]
} | 현대의 물리학이 고찰할 수 있는 최초의 우주는 대폭발 이후 10−43초 부터인가요? | 우주 | korean | {
"passage_answer_candidate_index": [
20
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"YES"
]
} |
우주(宇宙)란 과학적으로 또는 철학적으로 존재하는 모든 것의 총체라 정의 할 수도 있다.[1] 표준국어대사전은 무한한 시간과 만물을 포함하고 있는 끝없는 공간의 총체로 정의한다..[2] 물리학과 같은 자연과학은 우주를 존재하는 모든 물질과 에너지, 그리고 사건이 일어나는 배경이 되는 시공간의 총체로서 정의하고있다.
한자어 우주(宇宙)의 대표적인 출처는 천자문이다.[3] 경우에 따라 천지(天地) 등의 낱말이 우주와 같은 의미로 사용된다.[2]
라틴어 우니베르숨(universum)은 유럽의 여러 언어에서 우주를 가리키는 낱말의 어원이 되었다.[4] 한편, 고대 그리스어 코스모스(κόσμος) 역시 우주를 가리키는 낱말로서 사용된다. 코스모스는 라틴어의 우니베르줌이 단순히 “온누리”를 뜻하는 것과 달리 질서를 갖는 체계로서의 우주를 뜻한다는 점에서 다른 언어로 대체하기 어려운 독특한 개념이다. 천체를 포함한 우주 전체를 코스모스로 처음 지칭한 사람은 피타고라스이다.[5]
우주 관측의 역사
스톤헨지나[6] 천체의 위치를 표시한 고인돌[7] 과 같은 선사시대의 유적을 통해 인류가 매우 오래전부터 천체를 관측하여 왔음을 확인할 수 있다. 고대 이집트에서는 주기적으로 범람하는 나일강의 범람을 예측하기 위해 달력을 제작하였고, 기원전 2900년 무렵 음력을 기준으로한 달력이 제작되었으며 기원전 2500년 무렵에는 1년을 365일로 계산한 태양력이 제작되었다.[8]
서양에서 눈에 띄는 별들을 묶어 별자리로 인식하는 것은 기원전 수천년전 바빌로니아의 칼데아 지방에서 부터 시작되었다. 고대 칼데아 지역에서는 황도를 따라 12개의 별자리를 묶어 구분하였는데, 이러한 구분은 오늘날까지 황도12궁으로 불리고 있다. 바빌로니아에서 제작된 기원전 3천여년 전의 표석에는 황도12궁을 비롯한 20여개의 별자리가 표시되어 있다. 페니키아에 의해 고대 그리스로 유입된 별자리는 이후 기원후 150년 무렵 클라우디오스 프톨레마이오스가 편찬한 천문서 《알마게스트》에서 48개의 별자리로 정리되었다.[9]
한편, 고대 중국, 한국 등의 동아시아와 고대 인도에서도 독자적인 별자리를 사용하였다. 고대 중국, 한국 등 동아시아에서는 삼원과 28수를 통해 하늘의 별들을 구분하였다.[10] 한국의 삼국시대에는 고구려와 신라에서 첨성대를 이용하여 별을 관측하였다.[11] 고구려의 첨성대는 조선초기까지 존재하였고,[12] 신라의 첨성대는 오늘날에도 보존되어 있다.[13] 권근의 《양촌집》과 이를 인용한 《대동야승》에 따르면 고구려는 석각 천문도를 제작하였으나 668년 무렵 전쟁으로 소실되었다.[14] 고대 인도에서도 점성술을 위해 조티샤라는 독자적인 별자리 체계를 사용하였다.[15]
1928년 국제 천문 연맹은 지역마다 다르게 사용되어온 별자리를 정리하여 88개의 별자리를 확정하였다.[9]
망원경이 처음으로 제작되기 시작한 것은 17세기 무렵이었다. 갈릴레오 갈릴레이는 최초로 망원경을 이용하여 천체를 관측한 기록을 남겼다.[16] 갈릴레이는 목성에 있는 4개의 위성을 확인하였고, 이들이 목성의 주위를 공전하고 있는 것을 관측하였다. 이 4개의 위성은 갈릴레이 위성으로 불린다.[17] 1668년 아이작 뉴턴은 반사망원경을 제작하였다.[18]
천체에 대한 관측 성과는 계속적으로 발전하여 윌리엄 허셜은 천왕성을 발견하는 한편 수 많은 항성에 대한 관측을 바탕으로 은하의 지도를 제작하였으며[19] 태양계 역시 이동하고 있다는 사실을 관측하였다.[20] 허셜의 관측 목록은 NGC 목록의 기반이 되었다.[21]
1930년대에 들어 전파 망원경이 세워지기 시작했다. 전파 망원경은 광학 망원경이 가시광선 영역만을 관측할 수 있는 것과 달리, 다양한 대역의 전자파를 관측할 수 있다. 전파 망원경의 대표적인 성과는 중성자별의 발견이다. 1967년 케임브리지 대학교의 대학원생이었던 조셀린 벨 버넬과 지도교수 앤터니 휴이시는 자체 제작한 전파망원경을 이용하여 주기적으로 전파의 강도가 변하는 별을 발견하였다. 처음에는 이것이 외계의 지적생명체가 보내는 신호일 지도 모른다는 생각을 하였으나, 연구결과 빠르게 자전하는 중성자별에서 발생하는 전자파 변화라는 것이 밝혀졌다.[22]
1990년 허블 우주 망원경이 지구 궤도로 발사되었다. 주거울 지름 2.4m, 경통길이 13m 에 달하는 거대한 반사망원경인 허블 우주 망원경은 지구 대기와 주변의 빛 때문에 간섭을 받는 지상의 천문대와 달리 가장 먼 우주 공간의 영상을 포착할 수 있는 성능으로 많은 영상을 보내왔다.[23] 허블 딥 필드는 100억 광년 이상 떨어진 천체들이다.[24]
우주론의 역사
고대의 여러 사회에서는 저마다 독특한 우주론이 등장하였다. 우주의 탄생과 형태에 대한 고대의 설명은 신화, 전설 등과 밀접한 관계가 있는데 고대 그리스의 그리스 신화나 중국의 여와 신화, 북유럽 신화, 이집트 신화, 구약성경 등에서는 신이 세상을 만들었다는 설명과 함께 천체의 탄생과 우주의 생김새 등을 묘사하고 있다. 예를 들어 고대 중국에서는 네모난 땅 위에 반구 모양의 하늘이 있다고 생각하였으며, 고대 그리스에서는 쟁반 모양의 땅 가운데 바다가 있고 그 위에 둥근 하늘이 있다고 생각하였다.[25]
한편 달력의 제작과 절기의 측정을 위해 천체 관측이 이루어져 왔으며 이러한 관측을 바탕으로 체계적인 우주론이 등장하였다. 근대 이전의 우주론은 고대 그리스의 사모스의 아리스타르코스에 의한 태양중심설과 같은 이론도 있었으나[26] 동서양을 막론하고 지구중심설이 주를 이루었다. 중국, 일본, 한국 등 동아시아에서는 28수를 바탕으로 하는 별자리와 지구를 중심으로 구형 우주가 둘러쌓여 있는 혼천설을 바탕으로 한 우주론이 확립되었고[27], 중세 아랍과 유럽에서는 클라우디오스 프톨레마이오스의 우주론이 정설로서 인정되었다.[28]
갈릴레오 갈릴레이가 망원경을 이용하여 목성의 갈릴레이 위성을 관측하면서 지구중심설에 의문이 제기되었고[17], 이후 코페르니쿠스가 태양중심설을 주장하였다.[29] 요하네스 케플러는 티코 브라헤의 관측 자료를 바탕으로 케플러의 행성운동법칙으로 태양계에서의 행성 운동을 설명하였고,[30] 이에 착안하여 아이작 뉴턴이 만유인력의 법칙을 발견하면서 고전역학에 의한 우주론이 확립되었다.[31]
뉴턴의 고전역학에 의한 우주론이 확립된 이후 과학계에서는 시공간이 태초부터 현재까지 언제나 같은 형태를 유지하고 있다는 정상우주론을 정설로 여겼다. 20세기 초 아인슈타인역시 이러한 이론을 바탕으로 자신의 일반상대성이론에 우주상수를 도입하여 우주가 항구적으로 변화되지 않는다는 정적 우주를 제안하하였다.[32]
그러나, 에드윈 허블이 적색편이를 발견하면서 허블의 법칙을 수립하였고,1964년 관측된 우주 배경 복사에 의해 입증되었다. 현대의 우주론은 허블의 법칙을 바탕으로 한 대폭발 이론으로 우주가 매우 작은 공간에서 급속히 확산되어 오늘날과 같은 모습이 되었다고 본다. 한편, 1920년대 러시아의 프라스만은 아인슈타인의 일반상대성이론으로 우주의 팽창을 설명하는 방정식을 유도한 바 있다.[33] 훗날 아인슈타인은 우주상수의 삽입이 자신의 일생일대의 실수라고 인정하였다.[32]
한편, 양자역학에서는 슈뢰딩거의 고양이와 같은 패러독스에 대해 관측자의 관측 행동에 의해 확률적으로 겹체 있는 사건이 하나의 사건으로 결정된다는 코펜하겐 해석이 일반적으로 받아들여 지고 있으나[34], 관측자의 관측에 의해 사건이 분기된다는 다세계 해석 역시 많은 지지를 받고 있다.[35] 평행우주는 다세계 해석을 기반으로 한 우주론이다.[36]
대폭발
대폭발은 우주의 처음을 설명하는 우주론 모형으로, 매우 높은 에너지를 가진 작은 물질과 공간이 약 137억 년 전 거대한 폭발을 통해 우주가 되었다고 보는 이론이다.[37]
[38] 이 이론에 따르면, 폭발에 앞서 오늘날 우주에 존재하는 모든 물질과 에너지는 작은 점에 갇혀 있었다. 과학자들이 T=0이라고 부르는 폭발 순간에 그 작은 점으로부터 물질과 에너지가 폭발하여 서로에게서 멀어지기 시작했다. 이 물질과 에너지가 은하계와 은하계 내부의 천체들을 형성하게 되었다. 이 이론은 우주가 팽창하고 있다는 에드윈 허블의 관측을 근거로 하고 있다. 또한 그는 은하의 이동 속도가 지구와의 거리에 비례한다는 사실도 알아냈다. 이는 은하가 지구에서 멀리 떨어져 있을 수록 빠르게 멀어지고 있음을 의미한다.
프랑스의 신학자이자 천문학자이던 조르주 르메트르는 1922년에 우주의 기원에 대하여, 후에 대폭발 이론이라 불리게 되는 추측을 하였는데, 그는 이것을 "원시원자에 대한 가설"이라 불렀다. 이 모형의 틀은 알베르트 아인슈타인의 일반 상대성 이론과 공간의 균질성과 등방성과 같은 단순화 가정을 기반으로 한다. 대폭발 이론의 주요 방정식인 프리드만 방정식은 알렉산드르 프리드만에 의해 공식화되었다. 미국의 천문학자인 에드윈 허블은 1929년 멀리 떨어진 은하들의 거리가 그것들의 적색 편이와 비례하다는 것을 발견했다. 1964년에는 우주의 극초단파를 연구하던 두 미국인 천문학자들인 로버트 우드로 윌슨과 아노 앨런 펜지어스가 우주에서 소음이 난다는 사실을 발견했다. 이 소음은 어떤 한 영역에서 나오는 것이 아니라, 우주의 전역에서 발생했다. 이것이 우주 마이크로파 배경으로, 대폭발에서 발생한 전자기파가 공간의 팽창과 함께 늘어나 파장이 길어진 것이다.[39] 만일 현재 은하 클러스터들 간의 거리가 점차 멀어지고 있다면, 과거에는 모두가 서로 가까이 모여있었을 것이다. 이러한 발상은 결국 극도로 밀집되고 극도로 뜨거웠던 시점이 과거에 존재했을 것이라는 추측으로 귀결되었고,[40] 이 이론과 비슷한 상황을 재현하고 확인하기 위해 커다란 입자 가속기가 만들어졌지만, 입자 가속기는 결국 이러한 고에너지영역을 조사하는 데 기능적 한계를 나타냈다. 대폭발 이론이 최초의 팽창 이후 우주의 일반적인 변화에 대해 설명해낼 수 있다 하더라도, 팽창 직후와 연관된 아무런 증거도 없이는 이러한 기본적인 상황에 대해 어떠한 입증도 할 수 없다. 우주를 통틀어 보이는 빛에 대한 관측 결과는, 대폭발 핵합성에 충분히 논리적으로 설명된 예측, 즉 우주 처음 몇 분 간의 급속한 팽창과 냉각 속에서 발생한 핵반응으로부터 형성된 빛에 대한 계산과 거의 맞아 떨어졌다.
영국의 물리학자인 프레드 호일은 "대폭발"() 이라는 단어를 1949년 어느 라디오 방송에서 처음 언급했다. 그가 주장했던 정상우주론을 본인이 별로 중요히 여기지 않는다는 이야기가 퍼지자, 호일은 이를 강하게 부정하고 방송에서의 언급은 단지 두 우주론의 가장 큰 차이점을 설명하기 위해 사용한 단어일 뿐이라고 일축했다.[41][42][43] 호일은 나중에, 가벼운 원소로부터 무거운 원소가 형성되는 항성 핵합성 과정을 이해하기 위해 연구에 매진했다. 1964년 우주 배경 복사를 발견하고, 그것의 스펙트럼(각 파장으로부터 계산된 복사량)으로부터 흑체 곡선을 그린다는 것이 확인되자, 대부분의 과학자들은 대폭발 이론을 사실로서 수용하게 되었다.
우주의 역사
현대의 물리학이 고찰할 수 있는 최초의 우주는 대폭발 이후 10−43초 부터이다. 이는 빛이 물리학에서 다룰 수 있는 최소의 길이인 플랑크 길이를 통과하는 시간으로, 플랑크 길이는 약 10−33cm이다. 초기 우주의 모습은 현대 물리학의 미해결 과제와 기술적 한계로 인해 많은 부분은 추론에 의존하고 있다. 지금까지의 관측 결과에 따르면 현재의 우주는 대폭발 이후 약 137억년이 경과된 것으로 보인다. 다음은 대폭발 이후 현재까지의 시간을 표시한 것이다.[44]
우주의 크기
우주의 구성
우주는 대부분 암흑 에너지와 암흑 물질, 그리고 일반적인 물질로 구성되어 있다. 전자기파도 우주를 구성하고 있으며,[46][47][48] 이 양은 20억년간 절반가량으로 줄어들었다.[49][50]
표준 모형
현대의 이론물리학에서는 기본입자와 네 가지의 기본상호작용으로 우주의 물질 구성과 운동을 설명하고 있다. 이를 표준 모형이라 한다.[51] 기본 입자 가운데 힉스 입자 만은 상당히 오랜기간 발견되지 않았으나 2013년 3월 14일, CERN에서 힉스입자의 발견을 공식으로 발표하였다.[52] 기본 입자 역시 더 작은 앞선입자로 이루어진 것이란 주장도 있으나 이것을 뒷받침하는 과학적 증거는 아직까지 나오지 않았다.[53]
같이 보기
허블 우주 망원경
천문대
UFO(미확인 비행 물체, Unidentified Flying Object)
에어리어51(Area 51, Nevada, USA)
스페이스셔틀(Space Shuttle)
미항공우주국(NASA; National Aeronautics and Space Administration)
우주 공간
세계
시공간
각주
외부 링크
,
at HowStuffWorks
at Space.Com
– Why is the universe the way it is?
– Arguments for and against an infinite and parallel universes
by Max Tegmark
Princeton University, Shirley Ho
– Images at various scales, with explanations
at Nasa.gov
분류:우주
분류:천체물리학
| https://ko.wikipedia.org/wiki/%EC%9A%B0%EC%A3%BC |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
452,
656,
1414,
2068,
2372,
2655,
3583,
3974,
5198,
5458,
5888,
6386,
7070,
8298,
9013,
9346,
9542,
9625,
9677
],
"plaintext_end_byte": [
442,
635,
1413,
2067,
2371,
2632,
3582,
3973,
5183,
5457,
5865,
6385,
7069,
8296,
9012,
9274,
9528,
9610,
9673,
9883
]
} | Berapa lama Yustinus II menjadi kaisar ? | Yustinus II | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
208
],
"minimal_answers_end_byte": [
222
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Yustinus II (Latin: Flavius Yustinus Junior Augustus; Greek: Φλάβιος Ἰουστίνος ὁ νεότερος; skt. 520 – 5 Oktober 578) merupakan seorang Kaisar Romawi Timur (Bizantium) dari tahun 565 hingga 578. Ia adalah suami Sofia, keponakan Yustinianus I. Pada masa kekuasaannya, meletus perang dengan Persia, sementara wilayah Italia lepas dari kekaisaran. Dia mempersembahkan Salib Yustinus II ke
Basilika Santo Petrus, Roma
Keluarga
Ia adalah putra Vigilantia dan Dulcidio (atau Dulcissimus), masing-masing saudara perempuan dan saudara ipar laki-laki Yustinianus. Saudara-saudaranya termasuk Markellos dan Praiekta.
Pemerintahan
Aksesi
Yustinianus I meninggal pada malam 14 sampai 15 November 565. Callinicus, Praepositus sacri cubiculi, tampaknya menjadi satu-satunya saksi menjelang ajalnya, dan kemudian menyatakan bahwa Yustinianus telah menunjuk "putra Yustinus, Vigilantia" sebagai pewarisnya di ranjang kematiannya. Klarifikasi itu diperlukan karena ada keponakan dan calon lain untuk takhta, Yustinus, putra Germanus. Para cendekiawan modern menduga Callinicus mungkin telah mengarang kata-kata terakhir Yustinianus untuk mengamankan suksesi bagi sekutu politiknya.[1] Sebagaimana Robert Browning (cendekiawan modern, bukan penyair) mengamati: "Apakah sesungguhnya Yustinianus sendiri yang membuat pilihan, atau apakah Callinicus membuatkannya untuknya? Hanya Callinicus yang tahu."[2]
Bagaimanapun, Callinicus mulai mengingatkan mereka yang paling tertarik pada suksesi, yang pada mulanya adalah berbagai anggota Senat Romawi Timur. Kemudian mereka bersama-sama memberi tahu Yustinus dan Vigilantia, menawarkan takhta. Yustinus menerima setelah acara token tradisional dengan enggan, dan bersama istrinya Sofia, dia dikawal ke Istana Agung Konstantinopel. Para Excubitores memblokir pintu masuk istana pada malam hari, dan pagi-pagi sekali, Ioannis Scholastikos, Patriark Konstantinopel, menobatkan Augustus yang baru. Hanya kemudian adalah kematian Yustinianus dan suksesi Yustinus diumumkan secara terbuka di Hipodrom Konstantinopel.[3]
Baik Patriark dan Tiberius, komandan Excubitores, baru-baru ini diangkat, dengan Yustinus telah memainkan bagian dalam penunjukan mereka masing-masing, dalam perannya sebagai kouropalates Yustinianus. Kesediaan mereka untuk meningkatkan patron dan sekutu mereka atas takhta hampir tidak mengherankan.[3]
Dalam beberapa hari pertama pemerintahannya, Yustinus membayar hutang pamandanya, mengatur keadilan secara pribadi, dan memproklamirkan toleransi agama universal. Bertentangan dengan pamandanya, Yustinus bergantung sepenuhnya pada dukungan partai aristokratis.
Kebijakan luar negeri
Bangga dengan karakter, dan berhadapan dengan perbendaharaan kosong, ia menghentikan praktik Yustinianus untuk membeli musuh-musuh potensial. Segera setelah aksesi, Yustinus menghentikan pembayaran subsidi ke Avar, mengakhiri gencatan senjata yang sudah ada sejak tahun 558. Setelah suku Avar dan suku tetangga dari Langobardi telah bergabung untuk menghancurkan Gepid, dari siapa Yustinus telah memperoleh benteng Donau dari Sirmium, Avar menyebabkan bangsa Langobardi bermigrasi ke Barat, dan pada tahun 568 mereka menyerang Italia di bawah raja mereka Alboin. Mereka dengan cepat menyerbu lembah Po, dan dalam beberapa tahun mereka membuat diri mereka menguasai hampir seluruh negeri. Bangsa Avar sendiri melintasi Donau pada tahun 573 atau 574, ketika perhatian Kekaisaran terganggu oleh masalah di perbatasan Persia. Mereka hanya ditenangkan oleh pembayaran subsidi 60.000 keping perak oleh penerus Yustinus, Tiberius.[4]
Perbatasan Utara dan Timur adalah fokus utama perhatian Yustinus. Pada tahun 572 penolakannya untuk membayar upeti ke Persia dalam kombinasi dengan tawaran kepada Turki menyebabkan perang dengan Kekaisaran Sasaniyah. Setelah dua kampanye bencana, di mana Persia di bawah Khosrau I menyerbu Suriah dan merebut benteng Dara yang sangat strategis, Yustinus dilaporkan kehilangan akal sehatnya.
Tak lama setelah penyeludupan telur-telur ulat sutra ke Kekaisaran Bizantium dari Tiongkok oleh para rahib Nestorianisme, cendekiawan Bizantium abad ke-6 Pelindung Menander menulis tentang bagaimana orang-orang Sogdiana berusaha untuk membangun perdagangan langsung sutra Tiongkok dengan Kekaisaran Bizantium. Setelah membentuk aliansi dengan penguasa Khosrau I untuk mengalahkan Hun Putih, Istämi, penguasa Göktürk Kekhanan Turk Barat, didekati oleh para pedagang Sogdiana yang meminta izin untuk bertemu dengan raja Sasaniyah hak istimewa bepergian melalui wilayah-wilayah Persia untuk berdagang dengan Bizantium.[5] Istämi menolak permintaan pertama, tetapi ketika dia menyetujui yang kedua dan meminta kedutaan Sogdiana mengirim ke raja Sasaniyah, yang terakhir telah membuat anggota kedutaan teracuni hingga mati.[5] Maniah, seorang diplomat Sogdian, meyakinkan Istämi untuk mengirim kedutaan langsung ke Konstantinopel, yang tiba pada tahun 568 dan menawarkan tidak hanya sutra sebagai hadiah untuk Yustinus, tetapi juga mengusulkan aliansi melawan Sasaniyah Persia. Yustinus setuju dan mengirim kedutaan ke Kekhanan Turki, memastikan perdagangan sutra langsung yang diinginkan oleh Sogdiana.[5][6]
Sifat pribadi
Sejarawan Previte-Orton mendeskripsikan Yustinus sebagai "seorang yang kaku, terpesona oleh kejayaan pendahulunya, kepada siapa ia gagal dalam tugasnya membimbing Kekaisaran melalui krisis besar pertama dan gerakan baru masyarakat". Previte-Orton melanjutkan,
Dalam urusan luar negeri ia mengambil sikap Romawi yang tak terkalahkan dan tak terbantahkan, dan dalam bencana-bencana yang kurang realisme, alasannya akhirnya memberi jalan. Itu adalah kekuatan asing yang diremehkan dan diharapkan untuk digertak oleh ketidakfleksibelan yang luhur, karena dia sangat sadar akan keadaan keuangan dan tentara yang putus asa dan kebutuhan untuk mendamaikan Monofisitisme."[7]
Suksesi dan abdikasi
Kecocokan sementara kegilaan di mana Yustinus jatuh, yang dihipotesiskan oleh peneliti modern untuk menjadi hasil Hiperparatiroidisme,[8] memperingatkan dia untuk menyebutkan nama kolega. Melewati saudara-saudaranya sendiri, dia mengangkat, atas saran Sofia, Jenderal Tiberius menjadi Caesar pada bulan Desember 574, mengangkat dia sebagai putranya,[9] dan mengundurkan diri untuk pensiun. Pada tahun 574, Sofia membayar 45.000 solidi kepada Khosrau dengan imbalan gencatan senjata satu tahun.[4]
Menurut Ioannis dari Efesus, ketika Yustinus II kumat kegilaannya yang tak terkendali di hari-hari terakhirnya, ia ditarik melalui istana dengan takhta beroda, menggigit pembantu ketika ia lewat. Dia dilaporkan memerintahkan musik organ untuk dimainkan secara terus menerus di seluruh istana dalam upaya menenangkan pikirannya yang kacau, dan dikabarkan bahwa seleranya kepada pengiring diperpanjang sejauh "melahap" sejumlah dari mereka selama masa pemerintahannya.[10]
Pengetahuan yang terlambat dari ketidakmampuannya sendiri menentukan dia untuk meletakkan berat diadem; ia menunjukkan beberapa gejala jiwa yang cerdas dan bahkan murah hati ketika ia berbicara kepada majelisnya,
Anda melihat panji-panji kekuatan tertinggi. Anda akan menerima mereka, bukan dari tangan saya, tetapi dari tangan Tuhan. Hormatilah mereka, dan dari mereka Anda akan mendapatkan kehormatan. Hormati ibunda permaisuri Anda: Anda sekarang putranya; sebelumnya, Anda adalah pelayannya. Senang tidak dalam darah; menjauhkan diri dari balas dendam; hindari tindakan-tindakan yang telah membuat saya membenci publik; dan konsultasikan pengalaman, daripada contoh, dari pendahulu Anda. Sebagai manusia, saya telah berdosa; sebagai orang berdosa, bahkan dalam kehidupan ini, saya telah dihukum berat: tetapi para hamba ini (dan dia menunjuk kepada para menterinya), yang telah menyalahgunakan keyakinan saya, dan mengobarkan nafsu saya, akan muncul bersama saya di hadapan pengadilan Kristus. Saya telah terpesona oleh kemegahan diadem: jadilah engkau yang bijak dan rendah hati; ingat apa yang telah Anda alami, ingatlah siapa diri Anda. Anda melihat di sekitar kita budak Anda, dan anak-anak Anda: dengan wewenang, menganggap kelembutan, dari orang tua. Cintai orang-orang Anda seperti diri Anda sendiri; menumbuhkan kasih sayang, mempertahankan disiplin, tentara; melindungi kekayaan orang kaya, membebaskan kebutuhan orang miskin.
Dalam keheningan dan air mata, majelis memuji para nara sumber, dan bersimpati dengan pertobatan pangeran mereka. Tiberius menerima diadem di lututnya; dan Yustinus, yang dalam pengunduran dirinya tampak paling layak untuk memerintah, berbicara kepada raja baru dengan kata-kata berikut: "Jika kamu setuju, aku hidup; jika kamu memerintahkan, aku mati: semoga Tuhan surga dan bumi masuk ke dalam hatimu apapun yang aku telah diabaikan atau dilupakan. " Empat tahun terakhir kaisar Yustinus dilewatkan dalam ketidakjelasan yang tenang: hati nuraninya tidak lagi disiksa dengan mengingat tugas-tugas yang tidak mampu ia lakukan; dan pilihannya dibenarkan oleh penghormatan berbakti dan rasa syukur dari Tiberius.[11]
Sofia dan Tiberius memerintah bersama sebagai rekan-wali penguasa gabungan selama empat tahun, sementara Yustinus tenggelam dalam kegilaannya yang menjadi jadi. Ketika Yustinus meninggal pada tahun 578, Tiberius menggantikannya sebagai Tiberius II Konstantinus.
Lihat pula
Daftar Kaisar Romawi Timur
Referensi
Sumber
Sumber pertama
Edward Walford, translator (1846) The Ecclesiastical History of Evagrius: A History of the Church from AD 431 to AD 594, Reprinted 2008. Evolution Publishing, ISBN978-1-889758-88-6.
Sumber kedua
Missing or empty |title= (help)
Missing or empty |title= (help)
Pranala luar
Media related to Justin II at Wikimedia Commons
Kategori:Kaisar Romawi Timur
Kategori:Dinasti Yustinianus
Kategori:Kelahiran 520
Kategori:Kematian 578
Kategori:Konsul Kerajaan Romawi
Kategori:Kaisar Bizantium abad ke-6
Kategori:Tokoh Perang Romawi-Persia | https://id.wikipedia.org/wiki/Yustinus%20II |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
348,
651,
1012
],
"plaintext_end_byte": [
347,
617,
992,
1065
]
} | apakah kepanjangan dari KOMIDA ? | Kereta api lokal Cibatu | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Kereta api Simandra atau Kereta api lokal Cibatu merupakan kereta api penglaju milik PT Kereta Api Indonesia di wilayah Jawa Barat melayani rute Cibatu-Purwakarta p.p . Harga cukup murah dengan tiket Rp8.000,00,[1] tetapi kereta ini tergolong kereta api lambat karena berhenti di setiap stasiun dan hanya melakukan perjalanan sekali per harinya.
Kereta api lokal Cibatu menawarkan pemandangan yang sangat indah dari wilayah Cibatu hingga Kiaracondong dan dari wilayah Padalarang hingga Purwakarta. Dalam perjalanannya, kereta ini melalui banyak jembatan kereta api dan sebuah terowongan, yaitu Terowongan Sasaksaat.
Stasiun yang disinggahi
Colombia
Stasiun Cibatu
Stasiun Leuwigoong
Stasiun Karangsari
Stasiun Leles
Stasiun Nagreg
Stasiun Kiaracondong
Stasiun Cikudapateuh
Stasiun Bandung
Stasiun Cimindi
Stasiun Cimahi
Stasiun Padalarang
Stasiun Cilame
Stasiun Sasaksaat
Stasiun Maswati
Stasiun Rendeh
Stasiun Cikadongdong
Stasiun Plered
Stasiun Sukatani
Stasiun Ciganea
Stasiun Purwakarta
Jadwal perjalanan
Jadwal Perjalanan KA Lokal Cibatu sesuai Gapeka 2017.
Referensi
Kereta api Ekonomi | https://id.wikipedia.org/wiki/Kereta%20api%20lokal%20Cibatu |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
688,
892,
1166,
1745,
1894,
2071,
2432,
2647,
3096,
3783,
4226,
5196,
5441,
6159,
6421,
6873,
7259,
7747,
8054,
8480,
8558,
10807,
11506,
11636,
11954,
12360,
12602,
13473,
14050,
14292,
14554,
15084,
15376,
15701,
16043,
16456,
17073,
17256,
17533,
17756,
18679,
18959,
19473,
19707,
19998,
20083,
20754,
20924,
21185,
22042,
22593,
23463,
24062,
24282,
25418,
25923,
27243,
27606,
28597,
29656,
30105,
30567,
30784,
31818,
32269,
33301,
34089,
34647,
35034,
35289,
35831,
36251,
36348,
36567,
36713,
37471,
37789,
37889,
38631,
38834,
40287,
40663,
40810,
41061,
41148,
41172
],
"plaintext_end_byte": [
687,
871,
1154,
1744,
1893,
2057,
2419,
2646,
3086,
3775,
4225,
5195,
5429,
6158,
6414,
6862,
7246,
7746,
8053,
8479,
8549,
10806,
11505,
11635,
11947,
12359,
12576,
13472,
14049,
14291,
14542,
15083,
15375,
15700,
16042,
16455,
17072,
17244,
17532,
17724,
18626,
18958,
19447,
19682,
19948,
20057,
20753,
20910,
21164,
22041,
22592,
23451,
24061,
24263,
25398,
25894,
27218,
27587,
28596,
29655,
30104,
30555,
30783,
31817,
32268,
33300,
34088,
34646,
35033,
35279,
35830,
36250,
36334,
36544,
36712,
37435,
37762,
37888,
38617,
38833,
40286,
40651,
40782,
41047,
41145,
41171,
41223
]
} | berapakah umur provinsi jawa timur? | Jawa Timur | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Jawa Timur (disingkat Jatim) adalah sebuah provinsi di bagian timur Pulau Jawa, Indonesia. Ibu kotanya terletak di Surabaya. Luas wilayahnya 47.922km², dan jumlah penduduknya 42.030.633 jiwa (sensus 2017). Jawa Timur memiliki wilayah terluas di antara 6 provinsi di Pulau Jawa, dan memiliki jumlah penduduk terbanyak kedua di Indonesia setelah Jawa Barat. Jawa Timur berbatasan dengan Laut Jawa di utara, Selat Bali di timur, Samudra Hindia di selatan, serta Provinsi Jawa Tengah di barat. Wilayah Jawa Timur juga meliputi Pulau Madura, Pulau Bawean, Pulau Kangean serta sejumlah pulau-pulau kecil di Laut Jawa (Kepulauan Masalembu), dan Samudera Hindia (Pulau Sempu, dan Nusa Barung).
Jawa Timur dikenal sebagai pusat Kawasan Timur Indonesia, dan memiliki signifikansi perekonomian yang cukup tinggi, yakni berkontribusi 14,85% terhadap Produk Domestik Bruto nasional.
Sejarah
Prasejarah
Jawa Timur telah dihuni manusia sejak zaman prasejarah. Hal ini dapat dibuktikan dengan ditemukannya sisa-sisa dari fosil Pithecanthropus Mojokertensis di Kepuhlagen, Mojokerto; Pithecanthropus erectus di Trinil, Ngawi; dan Homo Wajakensis di Wajak, Tulungagung.
Era klasik
Prasasti Dinoyo yang ditemukan di dekat Kota Malang adalah sumber tertulis tertua di Jawa Timur, yakni bertahun 760. Pada tahun 929, Mpu Sindok memindahkan pusat Kerajaan Mataram dari Jawa Tengah ke Jawa Timur, serta mendirikan Wangsa Isyana yang kelak berkembang menjadi Kerajaan Medang, dan sebagai suksesornya adalah Kerajaan Kahuripan, Kerajaan Janggala, dan Kerajaan Kadiri. Pada masa Kerajaan Singhasari, Raja Kertanagara melakukan ekspansi hingga ke Melayu. Pada era Kerajaan Majapahit di bawah Raja Hayam Wuruk, wilayahnya hingga mencapai Malaka, dan Kepulauan Filipina.
Bukti awal masuknya Islam ke Jawa Timur adalah adanya makam nisan di Gresik bertahun 1102, serta sejumlah makam Islam pada kompleks makam Majapahit.
Selain itu, juga ditemukan munculnya candi Jedong di Daerah Wagir, Malang, Jawa Timur yang diyakini lebih tua dari Prasasti Dinoyo, yakni sekitar abad ke-6 Masehi.
Kolonialisme
Bangsa Portugis adalah bangsa barat yang pertama kali datang di Jawa Timur. Kapal Belanda dipimpin oleh Cornelis de Houtman mendarat di Pulau Madura pada tahun 1596. Surabaya jatuh ke tangan VOC pada tanggal 13 Mei 1677. Ketika pemerintahan Stamford Raffles, Jawa Timur untuk pertama kalinya dibagi atas karesidenan, yang berlaku hingga tahun 1964.
Kemerdekaan
Setelah kemerdekaan Indonesia, Indonesia terbagi menjadi 8 Provinsi, dan Jawa Timur termasuk salah satu provinsi tersebut. Gubernur pertama Jawa Timur adalah R. Soerjo, yang juga dikenal sebagai pahlawan nasional.
Tanggal 20 Februari 1948 di Madura dibentuk Negara Madura, dan tanggal 26 November 1948 dibentuk Negara Jawa Timur, yang kemudian menjadi salah satu negara bagian dalam Republik Indonesia Serikat. Negara Jawa Timur dibubarkan, dan bergabung ke dalam Republik Indonesia tanggal 25 Februari 1950, dan tanggal 7 Maret 1950 Negara Madura memberikan pernyataan serupa. Berdasarkan Undang-Undang Nomor 2 Tahun 1950, dibentuk Provinsi Jawa Timur.
Geografi
Provinsi Jawa Timur berbatasan dengan Laut Jawa di utara, Selat Bali di timur. Samudera Hindia di selatan, serta Provinsi Jawa Tengah di barat Panjang bentangan barat-timur sekitar 400km, Lebar bentangan utara-selatan di bagian barat sekitar 200km, namun di bagian timur lebih sempit hingga sekitar 60km. Madura adalah pulau terbesar di Jawa Timur, dipisahkan dengan daratan Jawa oleh Selat Madura. Pulau Bawean berada sekitar 150km sebelah utara Jawa. Di sebelah timur Madura terdapat gugusan pulau-pulau, yang paling timur adalah Kepulauan Kangean, dan yang paling utara adalah Kepulauan Masalembu. Di bagian selatan terdapat dua pulau kecil yakni Nusa Barung, dan Pulau Sempu.
Relief
Secara fisiografi wilayah Provinsi Jawa Timur dapat dikelompokkan dalam tiga zona: zona selatan (plato), zona tengah (gunung berapi), dan zona utara (lipatan). Dataran rendah, dan dataran tinggi pada bagian tengah (dari Ngawi, Blitar, Malang, hingga Bondowoso) memiliki tanah yang cukup subur. Pada bagian utara (dari Bojonegoro, Tuban, Gresik, hingga Pulau Madura) terdapat Pegunungan Kapur Utara, dan Pegunungan Kendeng yang relatif tandus.
Pada bagian tengah terbentang rangkaian pegunungan berapi: Di perbatasan dengan Jawa Tengah terdapat Gunung Lawu (3.265 meter). Di sebelah Tenggara Madiun tedapat Gunung Wilis (2.169 meter), dan Gunung Liman (2.563 meter). Pada koridor tengah terdapat kelompok Anjasmoro dengan puncak-puncaknya Gunung Arjuno (3.339 meter), Gunung Welirang (3.156 meter), Gunung Anjasmoro (2.277 meter), Gunung Kawi (2.551 meter), dan Gunung Kelud (1.731 meter); pegunungan tersebut terletak di sebagian Kabupaten Kediri, Kabupaten Blitar, Kabupaten Malang, Kabupaten Pasuruan, Kabupaten Mojokerto, dan Kabupaten Jombang. Kelompok Tengger memiliki puncak Gunung Bromo (2.329 meter), dan Gunung Semeru (3.676 meter). Semeru, dengan puncaknya yang disebut Mahameru adalah gunung tertinggi di Pulau Jawa. Di daerah Tapal Kuda terdapat dua kelompok pegunungan: Pegunungan Iyang dengan puncaknya Gunung Argopuro (3.088 meter), dan Pegunungan Ijen dengan puncaknya Gunung Raung (3.344 meter).
Pada bagian selatan terdapat rangkaian perbukitan, yakni dari pesisir pantai selatan Pacitan, Trenggalek, Tulungagung, Blitar, hingga Malang. Pegunungan Kapur Selatan merupakan kelanjutan dari rangkaian Pegunungan Sewu di Yogyakarta.
Hidrografi
Dua sungai terpenting di Jawa Timur adalah Sungai Brantas (290km), dan Sungai Bengawan Solo (548km). Sungai Brantas memiiki mata air di lereng Gunung Arjuno di daerah Batu, dan mengalir melalui sebagian daerah di Jawa Timur, seperti Malang, Blitar, Tulungagung, Kediri, Jombang, serta Mojokerto. Di Mojokerto, Sungai Brantas terpecah menjadi dua: Kali Mas, dan Kali Porong; keduanya bermuara di Selat Madura. Sungai Bengawan Solo memiliki mata air di lereng Gunung Lawu yang merupakan perbatasan Jawa Timur dan Jawa Tengah, dan mengalir melalui sebagian daerah Jawa Tengah bagian timur dan Jawa Timur, yang akhirnya bermuara di wilayah Gresik. Sungai Brantas dan Sungai Bengawan Solo dikelola oleh Perum Jasa Tirta I.
Di lereng Gunung Lawu di dekat perbatasan dengan Jawa Tengah terdapat Telaga Sarangan, sebuah danau alami. Bendungan utama di Jawa Timur antara lain Waduk Ir. Sutami, dan Bendungan Selorejo, yang digunakan untuk irigasi, pemeliharaan ikan, dan pariwisata.
Iklim
Jawa Timur memiliki iklim tropis basah. Dibandingkan dengan wilayah Pulau Jawa bagian barat, Jawa Timur pada umumnya memiliki curah hujan yang lebih sedikit. Curah hujan rata-rata 1.900mm per tahun, dengan musim hujan selama 100 hari. Suhu rata-rata berkisar antara 21-34°C. Suhu di daerah pegunungan lebih rendah, dan bahkan di daerah Ranu Pani (lereng Gunung Semeru), suhu bisa mencapai minus 4°C, yang menyebabkan turunnya salju lembut.
Demografi
Jumlah penduduk Jawa Timur pada tahun 2017 adalah 42.030 633 jiwa, dengan kepadatan 884 jiwa/km2. Kabupaten dengan jumlah penduduk terbanyak di provinsi Jawa Timur adalah Kabupaten Malang dengan jumlah penduduk 3.046.218 jiwa, sedang kota dengan jumlah penduduk terbanyak adalah Kota Surabaya sebanyak 3.195.487. Laju pertumbuhan penduduk adalah 0,76% per tahun (2010).[10]
Suku bangsa
Mayoritas penduduk Jawa Timur adalah Suku Jawa, namun demikian, etnisitas di Jawa Timur lebih heterogen. Suku Jawa menyebar hampir di seluruh wilayah Jawa Timur daratan. Suku Madura mendiami di Pulau Madura, dan daerah Tapal Kuda (Jawa Timur bagian timur), terutama di daerah pesisir utara, dan selatan. Di sejumlah kawasan Tapal Kuda, Suku Madura bahkan merupakan mayoritas. Hampir di seluruh kota di Jawa Timur terdapat minoritas Suku Madura, umumnya mereka bekerja di sektor informal.
Suku Bawean mendiami Pulau Bawean di bagian utara Kabupaten Gresik. Suku Tengger, konon adalah keturunan pelarian Kerajaan Majapahit, tersebar di Pegunungan Tengger, dan sekitarnya. Suku Osing tinggal di sebagian wilayah Kabupaten Banyuwangi. Orang Samin tinggal di sebagian pedalaman Kabupaten Bojonegoro.
Selain penduduk asli, Jawa Timur juga merupakan tempat tinggal bagi para pendatang. Orang Tionghoa adalah minoritas yang cukup signifikan, dan mayoritas di beberapa tempat, diikuti dengan Arab dan India; mereka umumnya tinggal di daerah perkotaan. Suku Bali juga tinggal di sejumlah desa di Kabupaten Banyuwangi. Dewasa ini banyak ekspatriat tinggal di Jawa Timur, terutama di Surabaya, dan sejumlah kawasan industri lainnya.
Suku bangsa di Jawa Timur, berdasarkan data BPS tahun 2010 yaitu:[11]
Bahasa
Bahasa Indonesia adalah bahasa resmi yang berlaku secara nasional, namun demikian Bahasa Jawa dituturkan oleh sebagian besar Suku Jawa sebagai bahasa sehari-hari.
Dialek Bahasa Jawa timur dikenal dengan Bahasa Jawa Timuran, yang dianggap bukan Bahasa Jawa baku. Ciri khas Bahasa Jawa Timuran adalah egaliter, blak-blakan, dan seringkali mengabaikan tingkatan bahasa layaknya Bahasa Jawa Baku, sehingga bahasa ini terkesan kasar. Namun demikian, penutur bahasa ini dikenal cukup fanatik, dan bangga dengan bahasanya, bahkan merasa lebih akrab. Bahasa Jawa dialek Surabaya dikenal dengan Boso Suroboyoan. Dialek Bahasa Jawa di Malang umumnya hampir sama dengan dialek Surabaya. Dibanding dengan bahasa Jawa dialek Mataraman (Ngawi sampai Kediri), bahasa dialek Malang termasuk bahasa kasar dengan intonasi yang relatif tinggi. Sebagai contoh, kata makan, jika dalam dialek Mataraman diucapkan dengan 'maem' atau 'dhahar', dalam dialek Malangan diucapkan 'mangan'. Salah satu ciri khas yang membedakan antara bahasa arek Surabaya dengan arek Malang adalah penggunaan bahasa terbalik yang lazim dipakai oleh arek-arek Malang. Bahasa terbalik Malangan sering juga disebut sebagai bahasa Walikan atau Osob Kiwalan. Berdasarkan penelitian Sugeng Pujileksono (2007), kosakata (vocabulary) bahasa walikan Malangan telah mencapai lebih dari 250 kata. Mulai dari kata benda, kata kerja, kata sifat. Kata-kata tersebut lebih banyak diserap dari bahasa Jawa, Indonesia, sebagian kecil diserap dari bahasa Arab, Cina, dan Inggris. Beberapa kata yang diucapkan terbalik, misalnya mobil diucapkan libom, dan polisi diucapkan silup. Produksi bahasa walikan Malangan semakin berkembang pesat seiring dengan munculnya supporter kesebelasan Arema (kini Arema Indonesia)yang sering disebut Aremania. Bahasa-bahasa walikan banyak yang tercipta dari istilah-istilah di kalangan supporter. Seperti Ongisnade atau Singo Edan, Otruham, Rajajowas, Ongisiras, dan Utab untuk menyebut wilayah Muharto, Sawojajar, Singosari dan Batu. Terlepas dari tiga kelompok dialek bahasa Jawa tersebut (Malangan atau Kiwalan, Boso Suroboyoan, dan Mataraman) saat ini Bahasa Jawa merupakan salah satu mata pelajaran muatan lokal yang diajarkan di sekolah-sekolah dari tingkat SD hingga SLTA.
Bahasa Madura dituturkan oleh Suku Madura di Madura maupun di mana pun mereka tinggal. Bahasa Madura juga dikenal tingkatan bahasa seperti halnya Bahasa Jawa, yaitu enja-iya (bahasa kasar), engghi-enten (bahasa tengahan), dan engghi-bhunten (bahasa halus). Dialek Sumenep dipandang sebagai dialek yang paling halus, sehingga dijadikan bahasa standar yang diajarkan di sekolah. Di daerah Tapal Kuda, sebagian besar penduduknya menguasai dua bahasa daerah: Bahasa Jawa dan Bahasa Madura. Kawasan kepulauan di sebelah timur Pulau Madura menggunakan Bahasa Madura dengan dialek tersendiri, bahkan dalam beberapa hal tidak dimengerti oleh penutur Bahasa Madura di Pulau Madura (mutually unintellegible).
Suku Tengger menggunakan bahasa Tengger yang lebih dekat dengan Bahasa Jawa Kuno. Suku Osing Banyuwangi menggunakan bahasa Osing.
Penggunaan bahasa daerah kini mulai dipromosikan kembali. Sejumlah stasiun televisi lokal kembali menggunakan bahasa daerah sebagai bahasa pengantar pada beberapa acaranya, terutama berita, dan talk show, misalnya JTV memiliki program berita menggunakan Boso Suroboyoan, Bahasa Madura, dan Bahasa Jawa Tengahan.
Agama
Mayoritas penduduk Jawa Timur umumnya menganut agama Islam, dan sebagian kecil lainnya menganut agama Kristen, Katolik, Hindu dan Buddha. Sebagian penduduk, utamanya Suku Jawa juga masih memegang teguh kepercayaan Kejawen. Suku Madura umumnya beragama Islam dan terkenal sangat taat dalam menjalankan agama Islam. Suku Osing mayoritas beragama Islam, sedangkan mayoritas Suku Tengger menganut agama Hindu.
Orang Tionghoa umumnya menganut agama Buddha, Kristen, Katolik, Konghucu dan sebagian kecil menganut Islam, bahkan Masjid Cheng Ho di Surabaya dikelola oleh orang Tionghoa, dan memiliki arsitektur layaknya kelenteng.
Seni dan budaya
Kesenian
Jawa Timur memiliki sejumlah kesenian khas. Ludruk merupakan salah satu kesenian Jawa Timuran yang cukup terkenal, yakni seni panggung yang umumnya seluruh pemainnya adalah laki-laki. Berbeda dengan ketoprak yang menceritakan kehidupan istana, ludruk menceritakan kehidupan sehari-hari rakyat jelata, yang seringkali dibumbui dengan humor, dan kritik sosial, dan umumnya dibuka dengan Tari Remo, dan parikan. Saat ini kelompok ludruk tradisional dapat dijumpai di daerah Surabaya, Mojokerto, dan Jombang; meski keberadaannya semakin dikalahkan dengan modernisasi. Selain itu terdapat pula kelompok kesenian Ludruk di lingkungan universitas, salah satu yang masih eksis adalah Loedroek ITB sebagai salah satu Unit Kebudayaan di Institut Teknologi Bandung yang lebih dikenal sebagai Loedroek Kontemporer dan dapat berkembang sesuai dengan perkembangan jaman dan teknologi.
Reog yang sempat diklaim sebagai tarian dari Malaysia merupakan kesenian khas Ponorogo yang telah dipatenkan sejak tahun 2001, reog kini juga menjadi icon kesenian Jawa Timur. Pementasan reog disertai dengan jaran kepang (kuda lumping) yang disertai unsur-unsur gaib. Seni terkenal Jawa Timur lainnya antara lain wayang kulit purwa gaya Jawa Timuran, topeng dalang di Madura, dan besutan. Di daerah Mataraman, kesenian Jawa Tengahan seperti ketoprak, dan wayang kulit cukup populer. Legenda terkenal dari Jawa Timur antara lain Damarwulan, Angling Darma, dan Sarip Tambak-Oso.
Seni tari tradisional di Jawa Timur secara umum dapat dikelompokkan dalam gaya Jawa Tengahan, gaya Jawa Timuran, tarian Jawa gaya Osing, dan trian gaya Madura. Seni tari klasik antara lain tari gambyong, tari srimpi, tari bondan, dan kelana.
Terdapat pula kebudayaan semacam barong sai di Jawa Timur. Kesenian itu ada di dua kabupaten yaitu, Bondowoso, dan Jember. Singo Wulung adalah kebudayaan khas Bondowoso. Sedangkan Jember memiliki macan kadhuk. Kedua kesenian itu sudah jarang ditemui.
Kebudayaan
Kebudayaan dan adat istiadat Suku Jawa di Jawa Timur bagian barat menerima banyak pengaruh dari Jawa Tengahan, sehingga kawasan ini dikenal sebagai Mataraman; menunjukkan bahwa kawasan tersebut dulunya merupakan daerah kekuasaan Kesultanan Mataram. Daerah tersebut meliputi eks-Karesidenan Madiun (Madiun, Ngawi, Magetan, Ponorogo, Pacitan), eks-Karesidenan Kediri (Kediri, Tulungagung, Blitar, Trenggalek, Nganjuk), dan sebagian Bojonegoro. Seperti halnya di Jawa Tengah, wayang kulit, dan ketoprak cukup populer di kawasan ini.
Kawasan pesisir utara Jawa Timur banyak dipengaruhi oleh kebudayaan Islam. Kawasan ini mencakup wilayah Tuban, Lamongan, dan Gresik. Dahulu pesisir utara Jawa Timur merupakan daerah masuknya, dan pusat perkembangan agama Islam. Lima dari sembilan anggota walisongo dimakamkan di kawasan ini.
Di kawasan eks-Karesidenan Surabaya (termasuk Sidoarjo, Mojokerto, dan Jombang), dan eks-Karesidenan Malang, memiliki sedikit pengaruh budaya Mataraman, mengingat kawasan ini merupakan kawasan arek (sebutan untuk keturunan Ken arok) terutama di daerah Malang yang membuat daerah ini sulit terpengaruhi oleh budaya Mataraman.
Adat istiadat di kawasan Tapal Kuda banyak dipengaruhi oleh budaya Madura dan agama Islam, mengingat besarnya populasi Suku Madura dan kuatnya pengaruh Madura dan Islam di kawasan ini. Adat istiadat masyarakat Osing merupakan perpaduan budaya Jawa, Madura, dan Bali. Sementara adat istiadat Suku Tengger banyak dipengaruhi oleh budaya Hindu.
Masyarakat desa di Jawa Timur, seperti halnya di Jawa Tengah, memiliki ikatan yang berdasarkan persahabatan, dan teritorial. Berbagai upacara adat yang diselenggarakan antara lain: tingkepan (upacara usia kehamilan tujuh bulan bagi anak pertama), babaran (upacara menjelang lahirnya bayi), sepasaran (upacara setelah bayi berusia lima hari), pitonan (upacara setelah bayi berusia tujuh bulan), sunatan, pacangan.
Penduduk Jawa Timur umumnya menganut perkawinan monogami. Sebelum dilakukan lamaran, pihak laki-laki melakukan acara nako'ake (menanyakan apakah si gadis sudah memiliki calon suami), setelah itu dilakukan peningsetan (lamaran). Upacara perkawinan didahului dengan acara temu atau kepanggih. Akan tetapi, masyarakat di pesisir utara: Tuban, Lamongan, Gresik, bahkan Bojonegoro memiliki kebiasaan lumrah keluarga wanita melamar pria (ganjuran), berbeda dengan lazimnya kebiasaan daerah lain di Indonesia, di mana umumnya pihak pria yang melamar wanita. Dan umumnya pria selanjutnya akan masuk ke dalam keluarga wanita.
Untuk mendoakan orang yang telah meninggal, biasanya pihak keluarga melakukan kirim donga pada hari ke-1, ke-3, ke-7, ke-40, ke-100, 1 tahun, dan 3 tahun setelah kematian.
Arsitektur
Bentuk bangunan Jawa Timur bagian barat (seperti di Ngawi, Madiun, Magetan, dan Ponorogo) umumnya mirip dengan bentuk bangunan Jawa Tengahan (Surakarta). Bangunan khas Jawa Timur umumnya memiliki bentuk joglo, bentuk limasan (dara gepak), bentuk srontongan (empyak setangkep).
Masa kolonialisme Hindia Belanda juga meninggalkan sejumlah bangunan kuno. Kota-kota di Jawa Timur banyak terdapat bangunan yang didirikan pada era kolonial, terutama di Surabaya, dan Malang.
Pemerintahan
Pemerintah Daerah
Kepala daerah Provinsi Jawa Timur adalah gubernur, yang dibantu oleh seorang wakil gubernur. Jabatan Gubernur Jawa Timur secara resmi saat ini diemban oleh Soekarwo, yang terpilih dalam Pilkada Jatim yang berlangsung dalam dua putaran. Ia menggantikan Setia Purwaka yang ditunjuk Menteri Dalam Negeri sebagai Penjabat Sementara Gubernur Jawa Timur setelah Gubernur Imam Utomo mengakhiri masa jabatannya pada 29 September 2008. Pemilihan Kepala Daerah, dan Wakil Kepala Daerah (Pilkada Langsung) untuk pertama kalinya diselenggarakan pada tahun 2008. Pemerintah Provinsi Jawa Timur terdiri atas Sekretariat Daerah, Sekretariat DPRD, 22 Dinas Daerah, 16 Badan, 3 Kantor, serta 5 Badan Rumah Sakit. Sementara dalam koordinasi wilayah, dibentuk 4 Badan Koordinasi Wilayah (Bakorwil): Bakorwil I Madiun, Bakorwil II Bojonegoro, Bakorwil III Malang, dan Bakorwil IV Pamekasan.
Kepala Daerah
Daftar gubernur Jawa Timur
Perwakilan
Jawa Timur mengirim 87 wakil ke DPR RI dari sebelas daerah pemilihan, dan empat wakil ke DPD. Empat wakil Provinsi Jawa Timur di DPD untuk periode 2014-2019 adalah Hj. Emilia Contessa; Abdul Qadir Amir Hartono, S.E., M.H.; H. Ahmad Nawardi, S.Ag.n.; dan Drs. H. A. Budiono, M.Ed.
DPRD Jawa Timur hasil Pemilihan Umum Legislatif 2014 terdiri atas 100 kursi dan tersusun dari sepuluh partai yang didominasi oleh PKB (20 kursi), PDI-P (19 kursi), dan Partai Gerindra (13 kursi). Pimpinan DPRD Provinsi Jawa Timur periode 2014-2019 terdiri dari Abdul Halim Iskandar (Ketua; PKB), Kusnadi (Wakil Ketua; PDI-P), Tjutjuk Sunario (Wakil Ketua; Gerindra), Achmad Iskandar (Wakil Ketua; Demokrat), dan Soenarjo (Wakil Ketua; Golkar) yang resmi menjabat sejak 2 Oktober 2014.[12]
Pembagian administratif
Secara administratif, Jawa Timur terdiri atas 29 kabupaten, dan 9 kota, menjadikan Jawa Timur sebagai provinsi yang memiliki jumlah kabupaten/kota terbanyak di Indonesia.Daftar kabupaten dan kota di Jawa Timur
Perwakilan negara asing
Di Jawa Timur terdapat beberapa perwakilan negara asing yang terdiri atas konsulat jenderal dan konsulat yang seluruhnya berkedudukan di Surabaya, ibu kota provinsi Jawa Timur. Beberapa perwakilan negara asing yang ada di Jawa Timur adalah:
Konsulat Jenderal
Australia
Konsulat
Colombia
Belarus[13]
Denmark
India
Sri Lanka
Thailand
Pertahanan dan Keamanan
Jawa Timur merupakan wilayah Kodam V/Brawijaya, yang bermarkas di Surabaya. Kawasan Kostrad terdapat di Singosari, dan Kraton (Pasuruan). Surabaya merupakan Daerah Basis Armada tengah TNI-AL yaitu Komando Armada II. Kawasan TNI-AU terdapat di Bandara Iswahyudi (Madiun), Bandara Abdul Rachman Saleh (Malang), Satuan Radar (Jombang), serta di Raci (Pasuruan), dan di Punung (Pacitan). Kawasan Air Weapon Range TNI-AU terdapat di Pantai Pasirian (Lumajang). Bumi Marinir terdapat di Karangpilang (Surabaya). Daerah latihan militer antara lain terdapat di Gunung Bancak (Bangkalan), Gunung Majang Komplek (Jember), Teleng Gesingan (Pacitan), serta di Asembagus (Situbondo).
Polda Jawa Timur membawahi 38 kabupaten/kota dengan rincian satu polres kota besar (Polrestabes Surabaya), 8 kepolisian resor kota, dan 29 kepolisian resor.
Transportasi
Jawa Timur memiliki sistem transportasi darat, laut, dan udara. Sungai di Jawa Timur umumnya tidak dapat dilayari, kecuali di Surabaya dan beberapa pesisir Lamongan, Sidoarjo, Pasuruan, Probolinggo, dan Situbondo dapat dilalui perahu kecil.
Transportasi darat
Jawa Timur dilintasi oleh jalan nasional sebagai jalan arteri primer, di antaranya jalur pantura (Anyer-Jakarta-Surabaya-Banyuwangi), dan jalan nasional lintas tengah (Jakarta-Bandung-Yogyakarta-Surabaya). Jaringan jalan tol di Jawa Timur meliputi jalan tol Surabaya-Gempol, jalan tol Surabaya-Manyar jalan tol Surabaya-Mojokerto-Curahmalang, jalan tol sorr Dupak-Sidotopo, dan jalan tol lingkar dalam: Waru-Tandes-Tanjung Perak-Waru. Saat ini tengah dikembangkan jalan tol trans-Jawa, di antaranya jalan tol Surabaya-Mojokerto-Kertosono-Madiun-Mantingan, jalan tol Gempol-Malang-Kepanjen, jalan tol Gempol-Probolinggo-Banyuwangi, serta jalan tol dalam kota Surabaya: tol lingkar timur, dan tol tengah kota. Jembatan Suramadu yang melintasi Selat Madura menghubungkan Surabaya, dan Pulau Madura telah selesai pembangunannya, dan kini telah dapat digunakan.
Kota-kota di Jawa Timur dihubungkan dengan jaringan bus antarkota. Bus dengan Surabaya-Tuban-Semarang, Surabaya-Madiun-Yogyakarta, Surabaya-Malang, Surabaya-Kediri, dan Surabaya-Jember-Banyuwangi, umumhya beroperasi selama 24 jam penuh. Rute dengan jarak menengah dilayani oleh bus antarkota yang berukuran lebih kecil, seperti jurusan Surabaya-Mojokerto atau Madiun-Ponorogo. Rute dengan jarak jauh seperti Jakarta, Sumatera, dan Bali-Lombok umumnya dilayani oleh bus malam. Terminal Purabaya di Waru, Sidoarjo adalah terminal terbesar di Indonesia.
Setiap kabupaten/kota di Jawa Timur juga memiliki sistem angkutan kota (angkot) atau angkutan perdesaan (angkudes) yang menghubungkan ibukota kabupaten dengan daerah sekitarnya. Di Surabaya angkutan seperti ini dikenal dengan sebutan lyn atau bemo. Taksi dengan argometer dapat dijumpai di Surabaya-Gresik-Sidoarjo, Malang Raya, Banyuwangi, Jember, Madiun, dan Kediri. Sebagai alternatif taksi, di Surabaya terdapat angguna (angkutan serba guna), yang menggantikan helicak (di Jakarta disebut bajaj) sejak tahun 1990-an. Bus kota dapat dijumpai di Surabaya, dan Jember. Becak adalah moda angkutan tradisional yang dapat dijumpai hampir di setiap wilayah, meski di sejumlah tempat dilarang beroperasi. Belakangan, terdapat becak bermesin yang dikenal dengan sebutan bentor (Jawa: be</i>cak mo<i data-parsoid='{"dsr":[41312,41320,2,2]}'>ntor = becak bermotor).
Kereta api
Sistem perkeretaapian di Jawa Timur telah dibangun sejak era kolonialisme Hindia Belanda. Jalur kereta api di Jawa Timur terdiri atas jalur utara (Surabaya Pasar Turi-Semarang-Cirebon-Jakarta), jalur tengah (Surabaya Gubeng-Yogyakarta-Bandung-Jakarta), jalur lingkar selatan (Surabaya Gubeng-Malang-Blitar-Kertosono-Surabaya), dan jalur timur (Surabaya Gubeng-Probolinggo-Jember-Banyuwangi). Jawa Timur juga terdapat sistem transportasi kereta komuter dengan rute Bojonegoro-Surabaya-Sidoarjo, Surabaya-Sidoarjo-Porong, Surabaya-Lamongan, Surabaya-Mojokerto, Surabaya-Malang, dan Jember-Banyuwangi.
Saat ini untuk jalur Surabaya Gubeng-Kertosono-Madiun sedang dikembangkan menjadi jalur ganda (double track) dan direncanakan selesai pada akhir 2018 atau awal 2019 dan siap digunakan pertengahan 2019.
Transportasi laut
Pelabuhan Internasional Hub Tanjung Perak adalah pelabuhan utama yang berada di Surabaya. Pelabuhan berskala nasional lainnya di Jawa Timur meliputi Pelabuhan Gresik di Kabupaten Gresik, Pelabuhan Bawean di Kabupaten Gresik, Pelabuhan Tanjung Tembaga di Kota Probolinggo, Pelabuhan Pasuruan di Kota Pasuruan, Pelabuhan Sapudi di Kabupaten Sumenep, Pelabuhan Kalbut dan Pelabuhan Jangkar di Kabupaten Situbondo, Pelabuhan Sapeken di Kabupaten Sumenep, Pelabuhan Kangean di Kabupaten Sumenep, serta Pelabuhan Ketapang dan Pelabuhan Muncar di Kabupaten Banyuwangi.
Jawa Timur memiliki sejumlah pelabuhan penyeberangan, di antaranya Pelabuhan Ujung (Surabaya), Pelabuhan Kamal (Bangkalan, Madura), Pelabuhan Ketapang (Banyuwangi), Pelabuhan Kalianget (Sumenep), serta Pelabuhan Jangkar (Situbondo). Rute Ujung-Kamal menghubungkan Pulau Jawa (Surabaya) dengan Madura, Pelabuhan Ketapang menghubungkan Pulau Jawa dengan Bali, Rute Jangkar-Kalianget menghubungkan antara Pulau Jawa (Situbondo) dengan Pulau Madura, serta Kalianget juga menghubungkan Pulau Madura dengan kepulauan kecil di Laut Jawa (Kangean dan Masalembu).
Transportasi udara
Bandara Internasional Juanda di Kabupaten Sidoarjo menghubungkan Jawa Timur dengan kota-kota besar di Indonesia, dan luar negeri. Di Malang terdapat bandara nasional yang menghubungkan kota-kota besar di Indonesia yakni Bandara Abdul Rachman Saleh. Selain itu di Jawa Timur terdapat bandara umum lainnya seperti Bandara Blimbingsari di Kabupaten Banyuwangi, Bandara Notohadinegoro di Kabupaten Jember, Bandara Iswahyudi di Madiun, serta Bandara Trunojoyo di Kabupaten Sumenep.
Perekonomian
Perindustrian
Jawa Timur memiliki sejumlah industri besar, di antaranya galangan pembuatan kapal terbesar di Indonesia PT PAL di Surabaya, industri perlengkapan tempur PT Pindad di Malang, industri besar kereta api terbesar di Asia Tenggara PT INKA di Madiun, pabrik kertas (PT Tjiwi Kimia di Tarik-Sidoarjo, PT Leces di Probolinggo), pabrik rokok ( Wismilak di Surabaya Gudang Garam di Kediri, Sampoerna di Surabaya, dan Pasuruan, serta Bentoel di Malang). Di Gresik terdapat Semen Gresik, dan PT Petrokimia Gresik. Di Tuban terdapat pabrik Semen terbesar di Indonesia yaitu Semen Indonesia (ex Semen Gresik), dan Semen Holcim serta Kawasan Kilang Petrokimia. Pemerintah telah menetapkan 12 kawaan industri estate, di antaranya Surabaya Industrial Estate Rungkut (SIER) di Surabaya, Pasuruan Industrial Estate Rembang (PIER) di Kabupaten Pasuruan, Madiun Industrial Estate Balerejo (MIEB) di kabupaten Madiun, Ngoro Industrial Park (NIP) di Kabupaten Mojokerto, Kawasan Industri Jabon di Kabupaten Sidoarjo, serta Lamongan Integrated Shorebase (LIS) di Kabupaten Lamongan. Sentra industri kecil tersebar di seluruh kabupaten/kota, dan beberapa di antaranya telah menembus ekspor; Industri kerajinan kulit berupa tas, dan sepatu di Tanggulangin, Sidoarjo adalah salah satu industri kecil yang sangat terkenal.
Pertambangan dan energi
Blok Cepu, salah satu penghasil minyak bumi terbesar di Indonesia, ditambang di Bojonegoro. Pembangkit listrik di Jawa Timur dikelola oleh PT PJB, di mana meliputi PLTA (Ir. Sutami, Selorejo, Bening), PLTU, dan PLTGU, yang menyediakan energi listrik ke sistem Jawa-Bali. Beberapa daerah menikmati pembangkit energi mikrohidro, dan energi surya.
Sosial
Pendidikan
Jawa Timur merupakan provinsi dengan jumlah perguruan tinggi negeri terbanyak di Indonesia. Di Surabaya terdapat Universitas Airlangga (Unair), Institut Teknologi Sepuluh Nopember (ITS), Universitas Negeri Surabaya (Unesa; dahulu IKIP Surabaya), Politeknik Perkapalan Negeri Surabaya (PPNS), Politeknik Elektronika Negeri Surabaya (PENS), Universitas Pembangunan Nasional Veteran Jawa Timur (UPN Veteran Jatim) dan UIN Sunan Ampel (UINSA, dahulu IAIN Sunan Ampel).
Di Malang terdapat Universitas Brawijaya (UB), Universitas Negeri Malang (UM), Universitas Terbuka (UT), Politeknik Negeri Malang (POLINEMA), dan Universitas Islam Negeri Maulana Malik Ibrahim Malang (UIN-Maliki).
Di Jember terdapat Universitas Jember, Politeknik Negeri Jember (POLIJE). Di Madiun terdapat Politeknik Negeri Madiun, dan Politeknik Negeri Banyuwangi (POLIWANGI) di Banyuwangi. Di wilayah Madura terdapat Universitas Trunojoyo di Kabupaten Bangkalan dan Politeknik Negeri Madura (POLTERA) di Kabupaten Sampang.
Untuk perguruan tinggi kedinasan, di Surabaya terdapat Akademi Angkatan Laut (AAL), dan di Malang terdapat Sekolah Tinggi Akuntansi Negara (STAN Malang). Malang dikenal dengan sebutan Kota Pendidikan Internasional, karena banyaknya perguruan tinggi di kota ini menjadikan Malang sebagai pusat pendidikan di Indonesia bagian timur. Perguruan tinggi swasta terkemuka di Jawa Timur antara lain Universitas Kristen Petra (UKP), Universitas Katolik Widya Mandala (UKWM), STIKES Katolik St. Vincentius a Paulo Surabaya, dan Universitas Surabaya (UBAYA) di Surabaya, serta di Malang terdapat beberapa universitas megah dan populer di Asean seperti Universitas Muhammadiyah Malang, Institut Teknologi Nasional, Universitas Merdeka Malang, Universitas Gajayana Malang, Universitas Kanjuruhan Malang, Universitas Widya Gama, Universitas Machung, PPPPTK VEDC Malang, dan Universitas Binus yang banyak menjadi jujukan mahasiswa asing sebagai program pertukaran pelajar. Dan di Madiun terdapat Universitas Merdeka Madiun, IKIP PGRI Madiun, dan STISIP Muhammadiyah Madiun.
Jawa Timur juga dikenal sebagai provinsi yang memiliki sejumlah pondok pesantren ternama. Sedikitnya terdapat 1.500 pondok pesantren yang menyebar di hampir semua kabupaten. Pondok pesantren Gontor adalah sebuah pondok pesantren (ponpes) modern yang terdapat di Ponorogo. Kabupaten Jombang dan Singosari dikenal sebagai kota santri, karena memiliki pondok pesantren yang cukup banyak, di antaranya Ponpes Tebuireng dan Ponpes Darul Ulum di Jombang.
Rumah Sakit Dr.Soetomo di Surabaya dikenal sebagai rumah sakit terlengkap di Jawa Timur, dan Kawasan Timur Indonesia. Rumah sakit ternama lainnya adalah Rumah Sakit Darmo, dan Rumah Sakit Internasional di Surabaya, Rumah Sakit Dr. Syaiful Anwar (RSSA) di Malang, Rumah Sakit Dr. Soedono di Madiun, Rumah Sakit Jiwa Menur di Surabaya serta Rumah Sakit Jiwa Dr. Radjiman Wediodiningrat di Malang yang menjadi rumah sakit jiwa terbesar di Asia Tenggara.
Pariwisata
Air Terjun Madakaripura, Probolinggo|jmpl|250px|ka
Kawasan metropolitan Malang merupakan tujuan wisata terkenal di Indonesia dengan Kota Wisata Batu sebagai pusatnya.Pantai Noko, Pulau Bawean, Gresik|jmpl|250px|kiri
Jawa Timur memiliki sejumlah tempat wisata yang menarik. Salah satu ikon wisata Jawa Timur adalah Gunung Bromo, yang dihuni oleh Suku Tengger, di mana setiap tahun diselenggarakan upacara Kasada. Di kawasan pegunungan Tengger juga terdapat sebuah air terjun yaitu Madakaripura yang merupakan tempat pertapaan terakhir Mahapatih Gajah Mada sebelum mengabdi di Kerajaan Majapahit. Air terjun Madakaripura memiliki ketinggian sekitar 200 meter, yang menjadikan air terjun ini yang tertinggi di Pulau Jawa dan tertinggi kedua di Indonesia. Jawa Timur juga memiliki beberapa daerah wisata pegunungan lainnya di antaranya adalah daerah pegunungan Malang Raya yang dikenal sebagai kawasan wisata pegunungan alami yang mencakup Malang dan Batu. Daerah pegunungan Tretes dan Trawas, juga dikenal memiliki karakteristik seperti daerah Puncak di provinsi Jawa Barat. Wisata alam lainnya di Jawa Timur adalah Taman Nasional (4 dari 12 Taman Nasional di Jawa), Kebun Raya Purwodadi di Purwodadi, Pasuruan, dan Taman Safari Indonesia II di Prigen.
Jawa Timur juga terdapat peninggalan sejarah pada era klasik. Situs Trowulan di Kabupaten Mojokerto, dulunya merupakan pusat Kerajaan Majapahit, terdapat belasan candi, dan makam raja-raja Majapahit. Candi-candi lainnya menyebar di hampir seluruh wilayah Jawa Timur, di antaranya Candi Penataran di Blitar. Di Madura, Sumenep merupakan pusat kerajaan Madura, di mana terdapat Keraton Sumenep, museum, dan makam raja-raja Madura (Asta Tinggi Sumenep).
Jawa Timur dikenal memiliki panorama pantai yang sangat indah. Di pantai selatan terdapat Pantai Prigi, Pantai Pelang, dan Pantai Pasir Putih di Trenggalek, Pantai Popoh di Tulungagung, Pantai Ngliyep, dan tempat wisata buatan seperti Jawa Timur Park, Batu Secret Zoo, Batu Night Spectacular, Eco Green Park di Batu, serta Pantai Watu Ulo di Jember. Jawa Timur juga memiliki pantai yang ombaknya merupakan salah satu yang terbaik di dunia, yaitu Pantai Plengkung yang terletak di Kabupaten Banyuwangi. Di kawasan pantai utara terdapat Pantai Tanjung Kodok di Kabupaten Lamongan, kini telah dikelola, dan dikembangkan oleh Pemkab Lamongan menjadi kawasan Wisata Bahari Lamongan (WBL). Masyarakat Jawa Timur sering menyebut WBL dengan Jatim Park II yang sebenarnya Jatim Park II itu sendiri berada di Batu. Selain itu ada Pantai Kenjeran di Surabaya, dan Pantai Pasir Putih di Situbondo. Danau di Jawa Timur antara lain Telaga Sarangan di Magetan, Bendungan Ir. Sutami di Kabupaten Malang, dan Bendungan Selorejo di Kabupaten Blitar.
Kawasan pesisir utara terdapat sejumlah makam para wali, yang menjadi wisata religi para peziarah bagi umat Islam. Lima dari sembilan walisongo dimakamkan di Jawa Timur: Sunan Ampel di Surabaya, Sunan Giri, dan Sunan Gresik di Gresik, Sunan Drajat di Paciran (Lamongan), dan Sunan Bonang di Tuban. Di kawasan pesisir utara ini juga terdapat gua-gua yang menarik, yaitu: Gua Maharani di Lamongan, dan Gua Akbar di Tuban, serta Gua Gong yang berada di Kabupaten Pacitan yang terkenal sebagai gua terindah di Asia Tenggara. Objek wisata ziarah di Jawa Timur antara lain yaitu makam proklamator yang juga Presiden Republik Indonesia pertama Soekarno yang terdapat di Kota Blitar, serta makam Presiden Republik Indonesia keempat Abdurrahman Wahid / Gus Dur yang terletak di Kabupaten Jombang.
Kawasan Metropolitan Malang merupakan tujuan wisata terkemuka di Indonesia dengan Kota Wisata Batu sebagai pusatnya. Kawasan wisata Malang mempunyai berbagai keindahan alam mulai dari gunung berapi hingga pantai, serta wisata buatan manusia dari wisata sejarah hingga theme park berkelas internasional dengan didukung transportasi antar provinsi melalui kereta api, bus, dan pesawat terbang yang tersedia di Malang. Batu Secret Zoo selalu menempati peringkat 10 besar pada urutan kebun binatang terbaik di Asia menurut situs traveling terkemuka TripAdvisor.
Surabaya merupakan pusat pemerintahan, dan pusat bisnis Jawa Timur, di mana terdapat Tugu Pahlawan, Museum Mpu Tantular, Kebun Binatang Surabaya, Monumen Kapal Selam, Kawasan Ampel, dan Kawasan Tunjungan. Jawa Timur Park di Batu, dan Wisata Bahari Lamongan di Lamongan merupakan wahana wisata yang disebut-sebut sebagai disneyland di Indonesia selain Taman Impian Jaya Ancol di Jakarta.
Di Bojonegoro terdapat wisata Kahyangan Api yaitu api abadi yang sudah ada sejak ratusan tahun, di mana pada waktu PON XV Tahun 2000 diambil api PON dari sini. Selain itu juga terdapat Wana Wisata Dander, dan Waduk Pacal di Kabupaten Bojonegoro.
Olahraga
Jawa Timur merupakan provinsi dengan jumlah klub sepak bola profesional terbanyak di Indonesia. Klub Liga Super Indonesia yang berasal dari Jatim adalah Persegres Gresik United, Persik Kediri, Persema Malang, Arema FC, Persibo Bojonegoro, Deltras Sidoarjo, Persela Lamongan, dan Persebaya Surabaya. Arema dan Persebaya adalah klub sepak bola dari Jawa Timur yang menjadi tim papan atas di Indonesia dengan berulang kali meraih juara dari turnamen dan kompetisi nasional serta sering menjadi wakil Indonesia pada kejuaraan antar klub di Asia.
Jawa Timur pernah dua kali menjadi tuan rumah Pekan Olahraga Nasional (PON), yakni PON VII tahun 1969, dan PON XV tahun 2000, dan menjadi juara umum PON pada tahun 2000, dan 2008. Semenjak tahun 1996 Tim Sepak Bola Jawa Timur selalu meraih medali emas termasuk pada tahun 2008, dan tercatat sebagai medali emas yang keempat diterima berurutan. Pada tahun 2021, Jawa Timur juga menjadi tuan rumah Asian Youth Games ke-4.
Jawa Timur juga menjadi tempat penyelengaraan ajang balap sepeda Tour de East Java.
Kawasan kota
Menurut Rencana Tata Ruang Wilayah (RTRW) Provinsi Jawa Timur, hierarki perkotaan di Jawa Timur terdiri atas perkotaan megapolitan, perkotaan metropolitan, perkotaan menengah, dan perkotaan kecil.
Perkotaan Megapolitan
Gerbangkertosusila (Kota Surabaya, perkotaan Sidoarjo dan sekitarnya, perkotaan Gresik dan sekitarnya, serta perkotaan Bangkalan dan sekitarnya).
Perkotaan Metropolitan meliputi perkotaan Perkotaan Malang Raya (Kota Malang, Kota Batu, serta perkotaan Kepanjen).
Perkotaan Menengah terdiri atas: perkotaan Tuban, perkotaan Lamongan, perkotaan Tulungagung, perkotaan Jombang, perkotaan Mojokerto, perkotaan Pasuruan, perkotaan Bojonegoro, perkotaan Ponorogo, Kota Madiun, Kota Kediri, perkotaan Jember, perkotaan Banyuwangi, perkotaan Blitar, Kota Probolinggo, dan perkotaan Pamekasan.
Perkotaan kecil terdiri atas: perkotaan Sampang, perkotaan Sumenep, perkotaan Ngawi, perkotaan Magetan, perkotaan Nganjuk, perkotaan Bondowoso, perkotaan Trenggalek, perkotaan Pare, perkotaan Situbondo, perkotaan Pacitan, perkotaan Lumajang, perkotaan Kraksaan, dan perkotaan Caruban.
Kawasan lindung
Kawasan suaka alam
Kawasan suaka alam meliputi cagar alam, dan suaka margasatwa. Saat ini Jawa Timur terdapat 17 cagar alam dan 2 suaka margasatwa. Suaka Margasatwa Dataran Tinggi yang terdapat di Malang, Pasuruan, Probolinggo, Lumajang dan Banyuwangi. Sementara Suaka Margasatwa Pulau Bawean berada di Gresik.
Kawasan pelestarian alam
Kawasan pelestarian alam meliputi taman nasional, taman hutan raya (tahura), dan taman wisata alam.
Jawa Timur memiliki empat kawasan taman nasional, yaitu:
Taman Nasional Bromo Tengger Semeru di Kabupaten Malang, Kabupaten Pasuruan, Kabupaten Lumajang, dan Kabupaten Probolinggo.
Taman Nasional Baluran di Perbatasan Kabupaten Situbondo, dan Kabupaten Banyuwangi.
Taman Nasional Meru Betiri di Kabupaten Jember, dan Kabupaten Banyuwangi.
Taman Nasional Alas Purwo di Kabupaten Banyuwangi.
Kawasan hutan raya yaitu Taman Hutan Raya Raden Soerjo yang berada di sebagian wilayah Kabupaten Malang, Kota Batu, Kabupaten Pasuruan, Kabupaten Mojokerto, Kabupaten Jombang.
Taman wisata alam, meliputi Taman Wisata Kawah Ijen di Kabupaten Banyuwangi, dan Kabupaten Bondowoso; serta Taman Wisata Alam Gunung Baung, di Kabupaten Pasuruan.
Kuliner khas
Makanan khas Jawa Timur yang terkenal di antaranya adalah bakso malang, rawon, dan tahu campur lamongan. Beberapa makanan khas masing-masing daerah di Jawa Timur dapat kita deskripsikan sebagai berikut:
Kota Surabaya terkenal akan rujak cingur, semanggi, lontong balap, sate kerang, dan lontong kupang.
Kabupaten/Kota Malang dan Kota Batu telah populer akan berbagai olahan buah terutama apel, keripik tempe, bakpao telo, bakso malang, rawon dan cwie mie.
Kabupaten/Kota Kediri terkenal akan tahu takwa, tahu pong, dan getuk pisang.
Kabupaten/Kota Madiun dikenal akan nasi pecel madiun, dan sebagai penghasil brem.
Kecamatan Babat, Kabupaten Lamongan terkenal sebagai penghasil wingko babat.
Kabupaten Bondowoso merupakan penghasil tape yang sangat manis.
Kabupaten Gresik terkenal dengan nasi krawu, otak-otak bandeng, bonggolan, dan pudak-nya.
Kabupaten Sidoarjo terkenal akan kerupuk udang, terasi, dan petisnya.
Kabupaten Bojonegoro memiliki makanan khas ledre bojonegoro, serabi khas bojonegoro dan putu bumbu
Kabupaten Ngawi terkenal merupakan penghasil Tempe Kripik, Tahu tepo, dan nasi lethok.
Kabupaten/Kota Blitar memiliki makanan khas yaitu nasi pecel. Buah yang terkenal asli Blitar yaitu rambutan.
Kabupaten Banyuwangi terkenal dengan sego tempong, rujak soto, pecel pitik dan pecel rawon.
Kabupaten Tuban terkenal dengan legen beserta buah siwalan-nya, serta makanan khas, sego becek dan kare rajungan, yang populer akan rasanya yang pedas.
Kabupaten Jember mempunyai makanan khas berbahan tape yaitu suwar-suwir serta proll tape yang sangat manis.
Kabupaten Ponorogo memiliki makanan khas yaitu sate ponorogo, jenang mirah dan tiwul goreng.
Jagung dikenal sebagai salah satu makanan pokok orang Madura, sementara ubi kayu yang diolah menjadi gaplek, dahulu merupakan makanan pokok sebagian penduduk di Kabupaten Pacitan dan Kabupaten Trenggalek. Kabupaten Tulungagung terkenal dengan lodho , jenang syabun , sate kambing yang membedakan dengan daerah lain adalah bumbunya memakai petis , pecel tulungagung
Lihat pula
Daftar provinsi Indonesia
Daftar kabupaten dan kota di Jawa Timur
Gerbangkertosusila
Malang Raya
Tapal Kuda, Jawa Timur
Referensi
Bacaan lanjutan
Rencana Tata Ruang Wilayah Provinsi Jawa Timur. Pemerintah Provinsi Jawa Timur. 2006.
Jawa Timur Dalam Angka 2006. Badan Perencana Provinsi Jawa Timur, dan Badan Pusat Statistik Provinsi Jawa Timur. 2006.
Ensiklopedia Nasional Indonesia.
Pranala luar
(in Indonesian)
(in Indonesian)
(in Indonesian)
(in Indonesian)
(in Indonesian)
{{{1}}}
Coordinates:
Kategori:Provinsi di Indonesia
Kategori:Pulau Jawa | https://id.wikipedia.org/wiki/Jawa%20Timur |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
515,
733,
1372,
1720,
2245,
2841,
3619,
3858,
3897,
4535,
4891,
5536,
5895,
6401,
6689,
7119,
8703,
9140,
9887
],
"plaintext_end_byte": [
494,
732,
1371,
1719,
2227,
2794,
3614,
3857,
3884,
4513,
4869,
5535,
5863,
6400,
6688,
7118,
8702,
9116,
9860,
9990
]
} | Apakah Baladewa seorang manusia? | Baladewa | indonesian | {
"passage_answer_candidate_index": [
2
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"YES"
]
} |
Dalam mitologi Hindu, Baladewa atau Balarama , disebut juga Balabhadra dan Halayudha, adalah kakak Kresna, putra Basudewa dan Dewaki. Dalam filsafat Waisnawa dan beberapa tradisi pemujaan di India Selatan, ia dipuja sebagai awatara kesembilan (versi lain menyebut ketujuh) di antara sepuluh Awatara dan termasuk salah satu dari 25 awatara dalam Purana. Menurut filsafat Waisnawa dan beberapa pandangan umat Hindu, ia merupakan manifestasi dari Sesa, ular suci yang menjadi ranjang Dewa Wisnu.
Kemunculan Baladewa
Baladewa sebenarnya merupakan kakak kandung Kresna karena terlahir sebagai putra Basudewa dan Dewaki. Namun karena takdirnya untuk tidak mati di tangan Kamsa, ia dilahirkan oleh Rohini atas peristiwa pemindahan janin.
Kamsa, kakak dari Dewaki, takut akan ramalan yang mengatakan bahwa ia akan terbunuh di tangan putra kedelapan Dewaki. Maka dari itu ia menjebloskan Dewaki beserta suaminya ke penjara dan membunuh setiap putra yang dilahirkan oleh Dewaki. Secara berturut-turut, setiap puteranya yang baru lahir mati di tangan Kamsa. Pada saat Dewaki mengandung putranya yang ketujuh, nasib anaknya yang akan dilahirkan tidak akan sama dengan nasib keenam anaknya terdahulu. Janin yang dikandungnya secara ajaib berpindah kepada Rohini yang sedang menginginkan seorang putra. Maka dari itu, Baladewa disebut pula Sankarsana yang berarti "pemindahan janin".
Akhirnya, Rohini menyambut Baladewa sebagai putranya. Pada masa kecilnya, ia bernama Rama. Namun karena kekuatannya yang menakjubkan, ia disebut Balarama (Rama yang kuat) atau Baladewa. Baladewa menghabiskan masa kanak-kanaknya sebagai seorang pengembala sapi bersama Kresna dan teman-temannya. Ia menikah dengan Rewati, putri Raiwata dari Anarta.
Baladewa mengajari Bima dan Duryodana menggunakan senjata Gada. Dalam perang di Kurukshetra, Baladewa bersikap netral. Seperti kerajaan Widarbha dan Raja Rukmi, ia tidak memihak Pandawa maupun Korawa. Namun, ketika Bima hendak membunuh Duryodana, ia mengancam akan membunuh Bima. Hal itu dapat dicegah oleh Kresna dengan menyadarkan kembali Baladewa bahwa Bima membunuh Duryodana adalah sebuah kewajiban untuk memenuhi sumpahnya. Selain itu, Kresna mengingatkan Baladewa akan segala prilaku buruk Duryodana.
Ciri-ciri fisik
Balarama seringkali digambarkan berkulit putih, khususnya jika dibandingkan dengan saudaranya, yaitu Kresna, yang dilukiskan berkulit biru gelap atau bercorak hitam. Senjatanya adalah bajak dan gada. Secara tradisional, Baladewa memakai pakaian biru dan kalung dari rangkaian bunga hutan. Rambutnya diikat pada jambul dan ia memakai giwang dan gelang. Baladewa digambarkan memiliki fisik yang sangat kuat, dan kenyataannya, bala dalam bahasa Sanskerta berarti "kuat". Selain sebagai saudara, Baladewa merupakan teman kesayangan Kresna yang terkenal.
Baladewa dalam susastra Hindu
Bhagawatapurana
Baladewa, bersama dengan Kresna dan Subadra, diasuh oleh Nanda (teman Basudewa) selama orang tua kandung mereka masih dipenjara. Pada suatu hari, Nanda menyuruh Gargamuni, pendeta keluarga, untuk mengunjungi rumah mereka dalam rangka memberikan nama kepada Kresna dan Baladewa. Ketika Gargamuni tiba di rumahnya, Nanda menyambutnya dengan ramah dan kemudian menyuruh agar upacara pemberian nama segera dilaksanakan. Gargamuni memperingatkan Nanda Maharaja bahwa Kamsa mencari putera Dewaki dan jika upacara dilaksanakan secara mewah maka akan menarik perhatian Kamsa, dan ia akan mencurigai Kresna sebagai putera Dewaki. Maka Nanda menyuruh Gargamuni untuk melangsungkan upacara secara rahasia, dan Gargamuni memberi alasan mengenai pemberian nama Balarama sebagai berikut:
“Karena Balarama, putra Rohini, mampu menambah pelbagai berkah, namanya Rama, dan karena kekuatannya yang luar biasa, ia dipanggil Baladewa. Ia mampu menarik Wangsa Yadu untuk mengikuti perintahnya, maka dari itu namanya Sankarshana.”
(Bhagawatapurana, 10.8.12)
Mahabharata
Baladewa terkenal sebagai pengajar Duryodana dari Korawa dan Bima dari Pandawa seni bertarung menggunakan gada. Ketika perang meletus antara pihak Korawa dan Pandawa, Baladewa memiliki rasa sayang yang sama terhadap kedua pihak dan memutuskan untuk menjadi pihak netral. Dan akhirnya ketika Bima (yang lebih kuat) mengalahkan Duryodana (yang lebih pintar) dengan memberikan pukulan di bawah perutnya dengan gada, Baladewa mengancam akan membunuh Bima. Hal ini dicegah oleh Kresna yang mengingatkan Baladewa atas sumpah Bima untuk membunuh Duryodana dengan menghancurkan paha yang pernah ia singkapkan kepada Dropadi.
Akhir riwayat hidup
Dalam Bhagawatapurana dikisahkan setelah Baladewa ambil bagian dalam pertempuran yang menyebabkan kehancuran Dinasti Yadu, dan setelah ia menyaksikan Kresna yang menghilang, ia duduk bermeditasi di bawah pohon dan meninggalkan dunia dengan mengeluarkan ular putih besar dari mulutnya, kemudian diangkut oleh ular tersebut, yaitu Sesa.
Tradisi dan pemujaan
Dalam tradisi Waisnawa dan beberapa sekte Hindu di India, Baladewa dipuja bersama Sri Kresna sebagai kepribadian dari Tuhan yang Maha Esa dan dalam pemujaan mereka sering disebut "Krishna-Balarama". Mereka memiliki hubungan yang dekat dan selalu terlihat bersama-sama. Jika diibaratkan, Kresna merupakan pencipta sedangkan Baladewa merupakan potensi kreativitasnya. Baladewa merupakan saudara Kresna, dan kadang-kadang dilukiskan sebagai adik, kadang-kadang dilukiskan sebagai kakaknya. Baladewa juga merupakan Laksmana pada kehidupan Wisnu sebelum menitis pada Kresna, dan pada zaman Kali, dia menitis sebagai Nityananda, sahabat Sri Caitanya.
Dalam Bhagawatapurana diceritakan, setelah Baladewa ambil bagian dalam pertempuran antara wangsa Yadu dan Wresni, dan setelah ia menyaksikan Kresna mencapai moksa, ia duduk untuk bermeditasi agar mampu meninggalkan dunia fana lalu mengeluarkan ular putih dari dalam mulutnya. Setelah itu ia diangkut oleh Sesa dalam wujud ular.
Baladewa dalam pewayangan Jawa
Dalam pewayangan Jawa, Baladewa adalah saudara Prabu Kresna. Prabu Baladewa yang waktu mudanya bernama Kakrasana, adalah putra Prabu Basudewa, raja negara Mandura dengan permaisuri Dewi Mahendra atau Maekah. Ia lahir kembar bersama adiknya, dan mempunyai adik lain ibu bernama Dewi Subadra atau Dewi Lara Ireng, puteri Prabu Basudewa dengan permaisuri Dewi Badrahini. Baladewa juga mempunyai saudara lain ibu bernama Arya Udawa, putra Prabu Basudewa dengan Nyai Sagopi, seorang swarawati keraton Mandura.
Prabu Baladewa yang mudanya pernah menjadi pendeta di pertapaan Argasonya bergelar Wasi Jaladara, menikah dengan Dewi Erawati, puteri Prabu Salya dengan Dewi Setyawati atau Pujawati dari negara Mandaraka. Dari perkawinan tersebut ia memperoleh dua orang putera bernama Wisata dan Wimuka.
Baladewa berwatak keras hati, mudah naik darah tetapi pemaaf dan arif bijaksana. Ia sangat mahir mempergunakan gada, sehingga Bima dan Duryodana berguru kepadanya. Baladewa mempunyai dua pusaka sakti, yaitu Nangggala dan Alugara, keduanya pemberian Brahma. Ia juga mempunyai kendaraan gajah bernama Kyai Puspadenta. Dalam banyak hal, Baladewa adalah lawan daripada Kresna. Kresna berwarna hitam sedangkan Baladewa berkulit putih.
Sebenarnya Baladewa memihak Kurawa, maka dalam Kitab Jitabsara ketika ditulis skenarionya oleh para dewa tentang Perang Baratayuda, Prabu Kresna tahu bahwa para dewa merencanakan Baladewa akan ditandingkan dengan Raden Anantareja dan Baladewa mati. Ketika melihat catatan itu Prabu Kresna ingin menyelamatkan Prabu Baladewa dan Raden Anantareja agar tak ikut perang sebab kedua orang itu dianggap Prabu Kresna tak punya urusan dalam perang Baratayuda. Prabu Kresna menyamar menjadi kumbang lalu terbang dan menendang tinta yang dipakai dewa untuk menulis, tinta tumpah dan menutupi kertas yang ada tulisan Anantarejo kemudian kumbang jelmaan Prabu Kresna juga menyambar pena yang dipakai tuk menulis dan pena tersebut jatuh. Akhirnya dalam Kitab Jitabsara yaitu kitab skenario perang Baratayuda yang ditulis dewa tak ada tulisan Raden Anantareja dan Prabu Baladewa. Maka sebelum perang Baratayuda Prabu Kresna membujuk Anantareja supaya bunuh diri dengan cara menjilat telapak kakinya sendiri, akhirnya Raden Anantareja mati sebagai tawur/tumbal kemenangan Pandawa. Prabu Kresna juga punya siasat untuk mengasingkan agar Prabu Baladewa tidak mendengar dan menyaksikan Perang Baratayuda yaitu dengan meminta Prabu Baladewa untuk bertapa di Grojogan Sewu (Grojogan = Air Terjun, Sewu = Seribu) dengan tujuan agar apabila terjadi perang Baratayuda, Baladewa tidak dapat mendengarnya karena tertutup suara gemuruh air terjun. Selain itu Kresna berjanji akan membangunkannya nanti Baratayuda terjadi, padahal keesokan hari setelah ia bertapa di Grojogan Sewu terjadilah perang Baratayuda.
Ada yang mengatakan Baladewa sebagai titisan naga sementara yang lainnya meyakini sebagai titisan Sanghyang Basuki, Dewa keselamatan. Ia berumur sangat panjang. Setelah selesai perang Baratayuda, Baladewa menjadi pamong dan penasehat Prabu Parikesit, raja negara Hastinapura setelah mangkatnya Prabu Kalimataya atau Prabu Puntadewa. Ia bergelar Resi Balarama. Ia mati moksa setelah punahnya seluruh Wangsa Wresni.
Silsilah
Pranala luar
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Transclusion error: {{En}} is only for use in File namespace. Use {{lang-en}} or {{en icon}} instead.
Template:Suksesi awatara
Kategori:Tokoh yang terkait dengan Kresna
Kategori:Tokoh Mahabharata
Kategori:Awatara
Kategori:Waisnawa | https://id.wikipedia.org/wiki/Baladewa |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1241,
2331,
3298,
3825,
4230,
4903,
5122,
5293,
5320,
5509
],
"plaintext_end_byte": [
1207,
2330,
3297,
3795,
4195,
4878,
5121,
5280,
5310,
5480,
5550
]
} | Onko Marsissa happea? | Marsin asuttaminen | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NO"
]
} |
Marsin asuttaminen tarkoittaa suunnitelmia, joka tähtää pysyvän Mars-asutuksen perustamiseen. Mars on kylmä, ohutkaasukehäinen, aavikkoinen planeetta, jossa ihminen ei tule toimeen ilman avaruuspukua. Näin ollen Mars-aseman tulisi tarjota asukkailleen suojaa, ruokaa, hengitysilmaa, energiaa ja liikennepalveluita[1]. Marsin kaasukehä ja magneettikenttä eivät suojaa planeettaa auringonpurkausten hiukkassäteilyltä ja jatkuvalta avaruussäteilyltä. Marsissa on usein laajoja pölymyrskyjä, jotka saattavat vaikeuttaa liikkumista ja haitata radioliikennettä. Marsin etuna on, että siellä on vesijäätä, jolloin siitä ja kaasukehän hiilidioksidista voidaan valmistaa kemiallisin keinoin polttoaineita ja happea. Marsissa saattaa myös olla käyttökelpoisia mineraaleja. Marsiin on pitkä matka, lento sinne vie ainakin 180 päivää[2]. Yksi suurimpia ongelmia Mars-aseman perustamisessa olisi tällä hetkellä täysin suljetun elossapitojärjestelmän kehittäminen. Elossapitojärjestelmä tarjoaa avaruudessa hapen, veden, ravinnon ja niin edelleen. Koska Mars on kaukana Maasta, ainakaan pitkäaikaista oleskelua varten ei ole järkevää tuoda aseman ruoka-aineita Maasta käsin.
Mars-aseman mahdollinen kehitys
Jos miehitettyjä Mars-lentoja aletaan joskus tulevaisuudessa tehdä, nämä lennot saattavat jo ensimmäisestä lennosta alkaen tähdätä pysyvän tutkimusaseman perustamiseen. Jo ensimmäisellä Mars-lennolla saattaa olla mukana asuinmoduuli. Tilapäisinä asumuksina saatetaan aluksi käyttää avaruuden oloihin kehitettyjä puhallettavia telttoja. Hieman myöhemmin saattavat astua kuvaan pyörillä liikkuvat asemat. Tutkimusasemassa on asumiseen, laboratoriotoimintaan ja huoltoon liittyviä osia. Ikkunat ovat luultavasti pieniä ja paksuja kosmisen säteilyn minimoimiseksi. Asema saatetaan kaivaa 5 metriä paksun marsperän alle. Ulkona voitaisiin liikkua vain muutama tunti kerrallaan pari kertaa viikossa[3].
Asema tarvitsee voimalan, jollaisena toimii luultavasti ydinvoimala. Aurinkoenergia saattaa olla rinnakkaisvoimanlähde. Aurinkoenergian pahin rasite on planeetan pintaa monesti pyyhkivät Auringon valoa pimentävät pölymyrskyt. Kasvihuone tuottaa happea ja ravintoa, ja hajottaa jätteitä. Asemalla saattaa olla akvaario, jossa pidetään kaloja ravinnoksi.[4]
Eräs ehdotettu Mars-aseman sijoituspaikka on napa-alueella. Asemalla saattaa olla työpajoja laitteiden kokoamista ja huoltoa varten. Asemaa saattavat uhata mikrometeoriitti-iskut ja tulipalot[5]. Jos kyky kuljettaa tarvikkeita avaruudessa pitkien matkojen päähän kehittyy edes kohtuulliseksi, aluksi yhdestä asuinmoduulista koottavat tutkimusasemat saattavat laajentua valtaviksi käytäviksi, halleiksi ja kupoleiksi. Eräiden arvioiden mukaan pyöreä pohjakaava on sopivin. Rakenteita saatetaan tässäkin vaiheessa koota Maasta tuoduista avaruusaseman osaa muistuttavista moduuleista ja puhallettavista teltoista, joista saatetaan tehdä varsinkin kasvihuoneita. Aseman osat eristetään toisistaan ilmanpitävin osin. Asema saatetaan lisäksi vuorata säteilyn pitelemiseksi ainakin osittain marsperällä, kaivaa tasangolla Marsin pinnan alle tai rinteeseen. Happea ja rakettipolttoainetta tuotetaan suoraan Marsin kaasukehästä ja marsperän aineista.
Kolmannessa vaiheessa Marsissa saattaa käynnistyä kaivostoiminta, jossa paikallisista materiaaleista tuotetaan suurin osa aseman tarvitsemista rakennustarvikkeista. Tällöin eletään vaihetta, jolloin ihmisiä syntyy, elää elämänsä ja kuolee Marsissa. Marsiin saattaa kehittyä teollisuutta, ja planeetta alkaa käydä kauppaa Maan kanssa. Mars-siirtokunnan yhteisössä saattaa alkaa esiintyä viimeistään tällöin sosiaalisia ongelmia ja sisäisiä, poliittisluontoisia ristiriitoja.
Marsin maankaltaistaminen
Lopulta Marsia saatetaan alkaa maankaltaistaa, terraformoida, ainakin kasveille sopivaksi. Kasvit pystyvät elämään matalassa ilmanpaineessa, missä ihminen ei kykene hengittämään. Kasvit saattavat aikaa myöten tuottaa niin paljon happea, että ihminen selviää jopa ilman happinaamaria. Ei ole kuitenkaan täysin varmaa, pystytäänkö Marsia maankaltaistamaan.
Marsin olosuhteista ja ongelmista
Marsissa on pieni painovoima, joka on noin kolmasosa Maan vastaavasta. Tämä ja ilmakehää suojaavan magneettikentän heikkous luovat Marsiin kaasukehän, jossa Maan lentokoneet eivät voi lentää. Ilmanpaine Marsin pinnalla on alle prosentin maan pinnan ilmanpaineesta, noin kuusi millibaaria. Maan lentokoneet lentävät alle 30 kilometrin korkeudessa. Näin pienestä painovoimasta on apua raketeilla liikkumisessa, mutta haittaa lentokoneen tyyppisille laitteille.[6] Marsin kaasukehä ja magneettikenttä eivät suojaa planeettaa auringonpurkausten hiukkassäteilyltä ja jatkuvalta avaruussäteilyltä. Marsin pinnalla on perkloraattia.[7]
Mars-asemien tutkimusta
Maassa toimii nykyään monia järjestöjä, jotka tutkivat tulevia Marsissa asumisen mahdollisuuksia. Eräs näistä on Nasankin tukema Haughton-Mars Project, jossa jäljitellään pienen Mars-aseman toimintaa maassa.
Kannusteen Marsin asutukseen saattavat antaa maapallolla yleistyneet antibioottiresistentit bakteerit ja ihmisten bakteeritaudit joihin ei ole parannuskeinoa.
Katso myös
Mars One
Mars-500
Lähteet
Ensimmäinen etappi Mars - Suurimmat läpimurrot - matkalla vuoteen 2050, Jan Aagaard, Tieteen uudet näkymät 6, Tieteen Kuvalehti 2016, ISBN 978-82-535-3546-3
Viitteet
Aiheesta muualla
Luokka: Mars
Luokka:Avaruuden asuttaminen
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Marsin%20asuttaminen |
{
"plaintext_start_byte": [
4,
74,
429,
717,
1167,
1333,
1563,
1663,
1961,
2170,
2303,
2436,
2528,
2574,
2710,
3134,
3905,
4002,
4616,
5072,
5384,
5504,
6086,
6223,
6563,
6753,
6914
],
"plaintext_end_byte": [
73,
415,
716,
1166,
1315,
1562,
1662,
1960,
2153,
2302,
2435,
2505,
2552,
2709,
3133,
3904,
3968,
4576,
5052,
5383,
5503,
6085,
6202,
6562,
6727,
6913,
6943
]
} | Nchi gani kubwa zaidi bara la Afrika? | Bara | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Ramani ya dunia inayoonyesha mabara
saba yanayohesabiwa kwa kawaida.
Bara (au kontinenti) ni sehemu kubwa ya dunia iliyochomoza juu ya bahari, ambayo kwa kawaida hukaliwa na watu na kuwa juu yake na milima na mimea na wanyama na kila aina ya viumbe, ingawa viumbe hai wengi zaidi wanaishi baharini. Sehemu hii ya dunia ndiyo inayojulikana kama bara, na sehemu nyingine ya dunia ni ile iliyoko chini ya bahari.
Wazo la bara
Neno "bara" lamaanisha nchi kavu, tofauti na bahari au visiwa vidogo karibu na pwani ya nchi kavu kubwa zaidi. Si lazima kutaja maeneo makubwa tunayomaanisha tukiongea juu ya "mabara saba ya dunia". Neno "kontinenti" latokana na Kilatini "terra continens" yaani "nchi (kavu) mfululizo".
Kwa hiyo elezo la neno bara / kontinenti katika sayansi ya jiografia ni "masi kubwa na mfululizo za nchi kavu zinazotengwa kwa maeneo makubwa ya maji"[1] Lakini hali halisi sehemu kubwa ya mabara saba yanayokubaliwa kwa kawaida hayatengwi kabisa kati yake kwa maji. Pia neno "masi kubwa" halieleweki waziwazi kabisa. Kwa nini Greenland yenye eneo la kilomita za mraba 2,166,086 inaitwa "kisiwa" lakini Australia yenye eneo la 7,617,930 huitwa bara?
Mabara yote ya dunia yetu huwa na pwani kwenye bahari kuu ya dunia ambayo ni moja tu ikigawiwa kwa sehemu mbalimbali na mabara vigezo vingine.[2][3]
Uenezaji wa bara
Kwa lugha ya kawaida “bara” ni eneo mfululizo wa nchi kavu. Kwa maana hii “Tanzania bara” ni eneo lote la Tanzania isipokuwa visiwa ambavyo ni sehemu ya nchi ya Tanzania bila visiwa vya Unguja, Pemba, Mafia na kadhalika.
Vivyo hivyo “Ulaya bara” ni eneo la Ulaya bila visiwa kama Britania, Eire, Malta na kadhalika.
Kwa macho ya jiolojia “bara” ni pana kuliko nchi kavu tu: inaweza kutaja pia maeneo ya tako la bara yaliyo chini ya maji yasiyo na kina kikubwa pamoja na visiwa vya sehemu hizi. Kwa mtazamo huu visiwa vya Britania na Eire ni sehemu ya Ulaya na vivyo hivyo Autralia na Guinea Mpya ni bara moja.
Kwa maana ya utamaduni wazo la bara linaweza kujumlisha pia visiwa vya mbali kama vile Iceland huhesabiwa sehemu ya Ulaya au hata mikoa ya Ufaransa katika Bahari Hindi kuhesabiwa katika Ulaya.
Idadi ya mabara
Kwenye ramani zinazotumia lugha ya Kiingereza [4] kawaida huhesabiwa mabara saba duniani, mengine yakiwa makubwa na mengine madogo.
Bara la Afrika
Bara la Asia
Bara la Amerika ya Kaskazini
Bara la Amerika ya Kusini
Bara la Antaktika
Bara la Ulaya
Bara la Australia
Mara nyingi visiwa vya Pasifiki hujumlishwa pamoja na Australia kama
Australia na Pasifiki
na kuhesabiwa kama bara.
Kutofautisha mabara
Kutokana na elezo kuu kuwa bara ni masi ya nchi kavu iliyotengwa na bara nyingine kwa maji kuna mawazo tofauti kuhusu idadi ya mabara.
Ulaya na Asia kwa pamoja ni masi moja kubwa ya nchi kavu na kijiografia hakuna tofauti. Sababu za kuzihesabu kuwa mabara mawili ni kiutamaduni na kihistoria tu. Kwa hiyo mara kwa mara kuna pendekezo kuzijumlisha kwa jina "Euroasia"
Afrika imeunganishwa na Asia kwa shingo ya nchi ya Suez.
Amerika Kusini na Amerika Kaskazini zinaunganishwa kwa shingo ya nchi ya Panama na hata hapo mara nyingi hujumlishwa kama "bara pacha"
Mfumo wa mabara saba hufundishwa kule China, India, Pakistan, Ufilipino, sehemu za Ulaya na katika nchi nyingi zinazotumia lugha ya Kiingereza pamoja na Australia[5] and England[6]
Mfumo wa mabara sita (kwa kuhesabu Eurasia bara moja) hutumiwa zaidi pale Urusi, Ulaya ya Mashariki na Japani
Mfumo wa mabara sita (kwa kuhesabu Amerika kuwa bara moja) hutumiwa Ufaransa na nchi zilizokuwa koloni zake na Italia, Urenol, Hispania, Romania, Amerika Kusini[7] Ugiriki,[8] na nchi kadhaa nyingine za Ulaya.
Kuna pia mfumo wa kuhesabu mabara matano kwa kuacha Antaktika isiyo wa wakazi kwenye msingi wa mabara sita. Huu unatumiwa katika nembo na katiba ya harakati ya Michezo ya Olimpiki.[9]
wataalamu wachache hupendelea mfumo wa mabara manne wakihesabu Afro-Eurasia bara moja
[10] wakibaki na Amerika, Afro-Eurasia, Australia na Antaktiki.
Mabara katika historia ya dunia
Mabara jinsi yalivyo leo hayakuwepo tangu mwanzo wala hayakai vile. Ilhali kila bara inalingana na bamba 1 au mabamba ya gandunia ina pia mwendo pamoja na bamba lake. Wanajiolojia huamini ya kwamba miaka mamilioni iliyopita mabara yote yaliwahi kukaa pamoja kama bara 1 kubwa sana lililoendelea kupasuliwa baadaye. Vipande huelea juu ya koti ya dunia ambayo ni kiowevo na moto. Mwendo wa mabamba umepimiwa kuwa sentimita kadhaa kila mwake. Uhindi zamani haikuwepo sehemu ya Asia, na sasa hivi Afrika inaelekea kupasuliwa kwenye mstari wa bonde la Ufa la Afrika ya Mashariki.
Eneo la Mabara ya Dunia
Eneo la dunia
Eneo la dunia yote kwa jumla ni [510,066,000 kilomita mraba], ikiwa nchi kavu imechukuwa eneo la [148,647,000 kilomita mraba] na maji yamechukuwa eneo la [361,419,000 kilomita mraba]. Eneo la maji kulingana na eneo la nchi kavu ni asilimia 70.9, na nchi kavu [148,647,000 kilomita mraba] ni asilimia 29.1. Maji ya bahari yamechukuwa eneo la [335,258,000 kilomita mraba]ambalo ni asilimia 97, na maji yaliyobakia matamu ni asilimia 3 tu.
Jiolojia ya mabara
Mabara jinsi yanavyoonekana hukaa juu ya mabamba ya gandunia ambayo ni vipande vikubwa vya mwamba vinavyounda uso wa dunia. Mabara tunavyoyajua yanalingana kila moja na bamba lake na kila bamba ina mwendo wake wa polepole. Hii ni sababu ya kwamba baada ya miaka mingi uso wa dunia utaonekana tofauti kuliko leo.
Kijiolojia bara haliishi kwenye pwani pale bahari inapoanza. Bara linaendelea chini ya uso wa bahari kama tako la bara.
Mabara na mabamba yao ni kama ifuatayo: Afrika (Bamba la Afrika), Antaktika (Bamba la Antaktika), Australia (Bamba la Australia), Ulaya na sehemu kubwa ya Asia (Bamba la Ulaya-Asia), Amerika Kaskazini pamoja na Siberia (Bamba la Amerika ya Kaskazini) na Amerika Kusini (Bamba la Amerika ya Kusini). Mabamba madogo yamejitenga ingawa nchi juu yao inaonekana kuwa sehemu ya bara lingine. Mfano wake ni Bara Hindi iliyokuwa kama bara ndogo au kisiwa kikubwa zamani lakini tangu miaka milioni 10 imejisukuma chini ya bamba la Asia-Ulaya na kuikunja hadi kutokea kwa milima ya Himalaya.
Kwa jumla miamba ya sehemu za mabara ni mipesi kushinda miamba ya chini na hii ni sababu ziko juu ya miamba mingine.
Nchi za Mabara haya
Bara la Asia lina nchi huru 44.
Bara la Afrika lina nchi huru 53.
Bara la Amerika ya kaskazini lina nchi huru 35.
Bara la Antaktika halina wakazi wa kudumu wala nchi huru hata moja ijapokuwa nchi kama 7 zinadai kumiliki sehemu fulani za bara hili.
Bara la Australia au Oshania lina nchi huru 14.
Bara la Ulaya (au Uropa) lina nchi huru 46.
Kwa hivyo, kwa ujumla, kuna madola 192 katika mabara yote ya ulimwengu, mara huzidi kukitokea na mgawanyiko wa nchi au hupungua kukitokea umoja au muungano wa nchi.
Marejeo
Viungo vya nje
YouTube video by CGPGrey
Universe today, 2 Sep , 2010 by Jerry Coffey, imetazamiwa 2.04.2016
, imetazamiwa 2.04.2016
on wordatlas.com, imetazamiwa 2.04.2016
!
Jamii:Jiografia
Jamii:Dunia | https://sw.wikipedia.org/wiki/Bara |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
290,
1053,
1151,
1339,
1472,
1667,
1729,
1964,
2423,
2909,
3466,
4030
],
"plaintext_end_byte": [
289,
1052,
1150,
1338,
1471,
1666,
1728,
1963,
2422,
2880,
3465,
4017,
4243
]
} | ما هي المدرسة الطبيعية ؟ | فيزيوقراطية | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
78
],
"minimal_answers_end_byte": [
288
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
الفيزيوقراطية (Physiocrats)، أو المذهب الطبيعي مذهب نشأ في فرنسا في القرن الثامن عشر، وذهب أصحابه إلى القول بحرية الصناعة والتجارة وبأنّ الأرض هي مصدر الثروة كلها.
وزعيم هذا المذهب هو الدكتور فرنسوا كيناي، (1694 - 1778)، (Quesnay)، طبيب الملك لويس الخامس عشر، ومن أنصاره مرسييه دلاريفير (Mercier De La Riviere)، وميرابو (Murabeau)، وديبون دي تيمور (Dupont de Nemours)، وأطلق عليهم الطبيعيون، لأعتقادهم بسيادة القوانين الطبيعية، وقد أنتقدوا مذهب التجاريين (المركنتلية) الذين اعتبروا ثروة الأمم أنما تقاس بما تملكه من معادن نفيسة (الذهب والفضة)، وقالوا بان هذين المعدنين ليسا غاية النشاط الاقتصادي وانما هما وسيلة له.
وتقوم مباديء المذهب الطبيعي الفيزيوقراطية على الآتي:
الاعتقاد بوجود نظام طبيعي (Natural order)، يستمد قواعده من العناية الآلهية (Providential order)، وهي ليست من صنع البشر.
وإن هذه القواعد أو القوانين يمكن أن تسري من تلقاء نفسها دون تدخل الإنسان.
أساس النظام في المذهب الطبيعي هو الملكية الفردية، والحرية الاقتصادية، وشعار الطبيعيون (الفيزوقراطيون) هو:
دعه يمر دعه يعمل (Laissez Passer, Laissez Fair).
العمل الزراعي هو العمل المنتج الوحيد، والزراعة هي التي تغل ناتجا صافيا، وإن الصناعة والتجارة هما عبارة عن أعمال خدمية غير منتجة.
وكانوا يسمون التجار والصناع وأرباب المهن بالطبقة العقيمة غير المنتجة، لأنها لا تخلق ثروة جديدة، ولهذا فإن أهم ما ترتب على نظرية (الفيزوقراط) أو المذهب الطبيعي من نتائج أنها اختصت بالضرائب.
وطالما إن الأرض هي مصدر الثروة فيجب أن تقتصر عليها الضريبة فقط.
وكان من رأيهم أن تكون السلطة الدستورية مطلقة للملك وأن تسند هذه السلطة إلى مستبد عادل، وتكون مهمته توجيه الأفراد نحو النظام الطبيعي (Physiocrats)، وكانوا يطالبون بأن تكون الحكومة ملكية ووراثية مطلقة.
وكان الفيزوقراط يسمون أنفسهم كذلك بالاقتصاديين (Economistes).
أهم الأنتقادات
وأهم ما يوجه من انتقاد نحو المذهب الطبيعي الفيزوقراطي هو تعريفهم للأنتاج بأنه خلق مادة جديدة، إذ أن الأنتاج في حقيقته هو خلق منفعة أو زيادتها لا خلق مادة جديدة، كذلك أنتقد رأيهم بأقتصار الضريبة على الأرض، إذ أن ذلك أجحافا بطبقة المزارعين والفلاحين، بالإضافة لأن هذه الضريبة لا تكفي وحدها لسد نفقات الدولة.
كان المذهب الطبيعي ينسب للأرض القيمة الاقتصادية الكبرى، فأعطى المذهب الكلاسيكي هذه القيمة للعمل، وليس مرد ذلك إلى الانتقال من العصر الزراعي إلى العصر الصناعي فحسب، بل إنه ليعبر عن رغبات الطبقة الجديدة التي تريد أن تفرض نفوذها المالي على المجتمع، وتستأثر بالعمال الذين كانت غالبيتهم تعمل في الزراعة.
[1]
مصادر
تصنيف:إصلاح الأراضي
تصنيف:تاريخ الفكر الاقتصادي
تصنيف:جورجية (اقتصاد)
تصنيف:ليبرالية كلاسيكية
تصنيف:نظريات اقتصادية
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%81%D9%8A%D8%B2%D9%8A%D9%88%D9%82%D8%B1%D8%A7%D8%B7%D9%8A%D8%A9 |
{
"plaintext_start_byte": [
11,
1703,
2983,
4134,
4424,
4643,
4765,
6398,
6973
],
"plaintext_end_byte": [
1691,
2976,
4123,
4308,
4600,
4764,
6372,
6874,
7369
]
} | ఆంధ్రజ్యోతి పత్రికను ఎవరు ప్రారంభించారు? | ఆంధ్రజ్యోతి | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
0
],
"minimal_answers_start_byte": [
911
],
"minimal_answers_end_byte": [
946
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Main Page
ఆంధ్రజ్యోతి [1][2] ఒక ప్రముఖ తెలుగు దినపత్రిక. ప్రఖ్యాత సంపాదకుడు, హేతువాది అయిన నార్ల వెంకటేశ్వరరావు, ఔత్సాహిక పారిశ్రామికవేత్త కె.యల్.ఎన్.ప్రసాద్ మరికొందరు మిత్రులతో కలసి ఆంధ్రా ప్రింటర్స్ లిమిటెడ్ పక్షాన1960 జూలై 1న ఈ పత్రికను విజయవాడలో ప్రారంభించారు. అప్పటి ముఖ్యమంత్రి దామోదరం సంజీవయ్య అధ్యక్షత వహించిన సభలో కేంద్ర సమాచార శాఖ మంత్రి బి.వి.కేస్కర్ పత్రికను ప్రారంభించారు. నాలుగు ఎడిషన్లుగా ప్రచరించబడింది. 2000లో ప్రచురణ నిలిచిపోయింది. 2002 లో కొత్త యాజమాన్యంతో వేమూరి రాధాకృష్ణ సారథ్యంలో తిరిగి ప్రచురణ మొదలైంది. ఈ పత్రికకు అనుబంధంగా నవ్య వారపత్రిక, ఆంధ్రజ్యోతి జర్నలిజం పాఠశాల, ఎబిఎన్ ఆంధ్రజ్యోతి టివి ఛానల్ నడుపబడుతున్నాయి.
1960-2000
మొదట నార్లతో విద్వాన్ విశ్వం, నండూరి రామమోహనరావు సహాయ సంపాదకులుగా పనిచేశారు. ఆ తరువాత సంపాదకులుగా పనిచేసినవారిలో ముఖ్యులు నండూరి రామమోహనరావు, తుర్లపాటి కుటుంబరావు, పురాణం సుబ్రహ్మణ్యశర్మ. 1976లో నార్ల ఛీఫ్ ఎడిటర్ గా, నండూరి రామమోహనరావు ఎడిటర్ గా నియమితులైనారు. 1977 ఎన్నికల తరువాత నార్ల సంపాదకత్వ బాధ్యతల నుంచి తప్పుకున్నారు. నండూరి సంపాదకత్వం స్వీకరించాడు. నండూరి రామమోహనరావు పదవీ విరమణ చేసిన తరువాత ఇనగంటి వెంకట్రావు సంపాదకులైనారు. 2000 సంవత్సరాంతంలో ఆంధ్రజ్యోతి మూతపడింది.
2002-
2002 అక్టోబరు 15 న పాత పత్రికలో సీనియర్ రిపోర్టరుగా పనిచేసిన వేమూరి రాధాకృష్ణ మేనేజింగ్ డైరెక్టరుగా, కె.రామచంద్రమూర్తి సంపాదకులుగా 9 ప్రచురణ కేంద్రాలతో ఒకేసారి తిరిగి ప్రారంభించబడింది. తరువాత 18 ప్రచురణ కేంద్రాలకు విస్తరించింది. 2008 నుండి కె.శ్రీనివాస్ సంపాదకుడిగా ఉన్నాడు. వేమన వసంత లక్ష్మి, నవ్య అనుబంధం మరియు ఆదివారం అనుబంధం ఫీచర్ సంపాదకులుగా, జగన్ ఆన్లైన్ సంపాదకునిగా, పురందరరావు సీనియర్ అడ్వర్టైజ్మెంట్ మేనేజర్ గా ఉన్నారు.
భాష
ఆంధ్రజ్యోతి శైలి, అన్న ప్రచురణ ఈ పత్రిక యాజమాన్యం ప్రచురించింది.
శీర్షికలు, విశిష్టతలు
ప్రముఖ కాలమిస్టులు
గతంలో ప్రాణహిత శీర్షికన అల్లం నారాయణ తెలంగాణ వాదం విశ్లేషించారు.
ఆన్ లైన్ రూపాలు
ఆన్లైన్ సంచిక వివిధరూపాల్లో లభ్యమవుతున్నది.
హెచ్టిఎమ్ఎల్ పాఠ్యం రూపంలో ఇంటర్నెట్ లో ఆంధ్రజ్యోతి [2] అందుబాటులో ఉంది. మొదట్లో స్వంత ఖతి "శ్రీ తెలుగు" వుపయోగించిన తరువాత ప్రామాణిక యూనికోడ్కి మార్చబడింది. పాత సంచికలు వెబ్సైట్ కొత్త రూపంతో అందుబాటులోలేవు
పిడీయఫ్
ఈ పిడీయఫ్ ఆన్లైన్ సంచికలో ఆంధ్రజ్యోతి పేపరును అసలయిన పేపర్ లాగే ఉన్నది ఉన్నట్టుగా దిగుమతి చేసుకుని చదువుకోవచ్చు. కావలసిన వార్త మీద క్లిక్ చేస్తే ఆ ఎన్నుకున్న వార్తా భాగం పూర్తిగా ఇంకొక విండోలో కనిపిస్తుంది. గత పది రోజుల పేపరు మాత్రమే అందుబాటులో వుంటుంది.
2007 నుండి ముఖ్య వ్యాసకర్తల వ్యాసాలు ఇంటర్నెట్ లో అందుబాటులో ఉన్నాయి.
వెబ్ సేవల్లో ప్రధానాంశమైన అన్వేషణ ఈ వెబ్సైటులో ఉండదు.
విమర్శలు
వైయస్స్ఆర్ ముఖ్యమంత్రిగా వున్నప్పుడు జరిగిన భారీ అవినీతి మీద పలు పరిశోధనాత్మక కథనాలను ప్రచురించుట చేత ప్రభుత్వ వ్యతిరేక పత్రికగా ముఖ్యమంత్రి చేత పలు సార్లు ఆక్షేపించబడింది.
ఇవి కూడా చూడండి
ఎ కృష్ణారావు
మూలాలు
వర్గం:తెలుగు పత్రికలు
వర్గం:1960 స్థాపితాలు
వర్గం:తెలుగు అంతర్జాలము
వర్గం:దినపత్రికలు
వర్గం:తిరిగి ప్రారంభించబడిన పత్రికలు
వర్గం:ప్రస్తుత పత్రికలు
| https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%86%E0%B0%82%E0%B0%A7%E0%B1%8D%E0%B0%B0%E0%B0%9C%E0%B1%8D%E0%B0%AF%E0%B1%8B%E0%B0%A4%E0%B0%BF |
{
"plaintext_start_byte": [
7,
733,
841,
919
],
"plaintext_end_byte": [
732,
784,
907,
1112
]
} | Rais wa kwanza wa Tanzania aliitwa nani? | Orodha ya Marais wa Tanzania | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Tanzania
This article is part of a series on the
politics and government of
Tanzania
Constitution
Human rights
Government
President (list)
John Magufuli
Vice-President
Samia Suluhu
Prime Minister (list)
Kassim Majaliwa
Legislature
Speaker
Job Ndugai
Elections
Recent elections
General: 201020152020
Political parties
Administrative divisions
Regions
Districts
Foreign relations
Ministry of Foreign Affairs
Minister: Augustine Mahiga
Diplomatic missions of / in Tanzania
Nationality law
Passport
Visa requirements
Visa policy
Zanzibar
President
Ali Mohamed Shein
Vice Presidents
Seif Sharif Hamad
Seif Ali Iddi
Revolutionary Government
Revolutionary Council
House of Representatives
Tanzaniaportal
Other countries
Atlas
vt
Makala hii inaonyesha orodha ya marais wa Tanzania.
Marais wa Tanzania, 1964-hadi sasa
Ushirika wa Kisiasa
CCM - Chama Cha Mapinduzi
TANU - Tanganyika African National Union
Tazama pia
Orodha ya viongozi
Orodha ya Mawaziri Wakuu wa Tanzania
Orodha ya Mawaziri Wakuu wa Zanzibar
Orodha ya Magavana Wakuu wa Tanganyika
Orodha ya Marais wa Tanganyika
Orodha ya Masultan wa Zanzibar
Tanzania | https://sw.wikipedia.org/wiki/Orodha%20ya%20Marais%20wa%20Tanzania |
{
"plaintext_start_byte": [
9,
859,
1351,
1544,
2536,
3156,
4226,
7045,
7238,
9160,
9488,
9711,
11703,
12068,
13801,
14121,
14627,
14916,
15556
],
"plaintext_end_byte": [
858,
1350,
1534,
2535,
3155,
4225,
7028,
7237,
9159,
9465,
9710,
11684,
12067,
13784,
14110,
14626,
14908,
15545,
15837
]
} | How much do Software designers make? | Software design | english | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Software development
Core activities
Processes
Requirements
Design
Engineering
Construction
Testing
Debugging
Deployment
Maintenance
Paradigms and models
Agile
Cleanroom
Incremental
Prototyping
Spiral
V model
Waterfall
Methodologies and frameworks
ASD
DevOps
DAD
DSDM
FDD
IID
Kanban
Lean SD
LeSS
MDD
MSF
PSP
RAD
RUP
SAFe
Scrum
SEMAT
TSP
UP
XP
Supporting disciplines
Configuration management
Documentation
Software quality assurance (SQA)
Project management
User experience
Practices
ATDD
BDD
CCO
CI
CD
DDD
PP
SBE
Stand-up
TDD
Tools
Compiler
Debugger
Profiler
GUI designer
Modeling
IDE
Build automation
Release automation
Infrastructure as code
Testing
Standards and Bodies of Knowledge
BABOK
CMMI
IEEE standards
ISO 9001
ISO/IEC standards
PMBOK
SWEBOK
ITIL
Glossaries
Artificial intelligence
Computer science
Electrical and electronics engineeringvt
Software design is the process by which an agent creates a specification of a software artifact, intended to accomplish goals, using a set of primitive components and subject to constraints.[1] Software design may refer to either "all the activity involved in conceptualizing, framing, implementing, commissioning, and ultimately modifying complex systems" or "the activity following requirements specification and before programming, as ... [in] a stylized software engineering process."[2]
Software design usually involves problem solving and planning a software solution. This includes both a low-level component and algorithm design and a high-level, architecture design.
Overview
Software design is the process of envisioning and defining software solutions to one or more sets of problems. One of the main components of software design is the software requirements analysis (SRA). SRA is a part of the software development process that lists specifications used in software engineering. If the software is "semi-automated" or user centered, software design may involve user experience design yielding a storyboard to help determine those specifications. If the software is completely automated (meaning no user or user interface), a software design may be as simple as a flow chart or text describing a planned sequence of events. There are also semi-standard methods like Unified Modeling Language and Fundamental modeling concepts. In either case, some documentation of the plan is usually the product of the design. Furthermore, a software design may be platform-independent or platform-specific, depending upon the availability of the technology used for the design.
The main difference between software analysis and design is that the output of a software analysis consists of smaller problems to solve. Additionally, the analysis should not be designed very differently across different team members or groups. In contrast, the design focuses on capabilities, and thus multiple designs for the same problem can and will exist. Depending on the environment, the design often varies, whether it is created from reliable frameworks or implemented with suitable design patterns. Design examples include operation systems, webpages, mobile devices or even the new cloud computing paradigm.
Software design is both a process and a model. The design process is a sequence of steps that enables the designer to describe all aspects of the software for building. Creative skill, past experience, a sense of what makes "good" software, and an overall commitment to quality are examples of critical success factors for a competent design. It is important to note, however, that the design process is not always a straightforward procedure; the design model can be compared to an architect’s plans for a house. It begins by representing the totality of the thing that is to be built (e.g., a three-dimensional rendering of the house); slowly, the thing is refined to provide guidance for constructing each detail (e.g., the plumbing lay). Similarly, the design model that is created for software provides a variety of different views of the computer software. Basic design principles enable the software engineer to navigate the design process. Davis [3] suggests a set of principles for software design, which have been adapted and extended in the following list:
The design process should not suffer from "tunnel vision." A good designer should consider alternative approaches, judging each based on the requirements of the problem, the resources available to do the job.
The design should be traceable to the analysis model. Because a single element of the design model can often be traced back to multiple requirements, it is necessary to have a means for tracking how requirements have been satisfied by the design model.
The design should not reinvent the wheel. Systems are constructed using a set of design patterns, many of which have likely been encountered before. These patterns should always be chosen as an alternative to reinvention. Time is short and resources are limited; design time should be invested in representing (truly new) ideas by integrating patterns that already exist (when applicable).
The design should "minimize the intellectual distance" between the software and the problem as it exists in the real world. That is, the structure of the software design should, whenever possible, mimic the structure of the problem domain.
The design should exhibit uniformity and integration. A design is uniform if it appears fully coherent. In order to achieve this outcome, rules of style and format should be defined for a design team before design work begins. A design is integrated if care is taken in defining interfaces between design components.
The design should be structured to accommodate change. The design concepts discussed in the next section enable a design to achieve this principle.
The design should be structured to degrade gently, even when aberrant data, events, or operating conditions are encountered. Well- designed software should never "bomb"; it should be designed to accommodate unusual circumstances, and if it must terminate processing, it should do so in a graceful manner.
Design is not coding, coding is not design. Even when detailed procedural designs are created for program components, the level of abstraction of the design model is higher than the source code. The only design decisions made at the coding level should address the small implementation details that enable the procedural design to be coded.
The design should be assessed for quality as it is being created, not after the fact. A variety of design concepts and design measures are available to assist the designer in assessing quality throughout the development process.
The design should be reviewed to minimize conceptual (semantic) errors. There is sometimes a tendency to focus on minutiae when the design is reviewed, missing the forest for the trees. A design team should ensure that major conceptual elements of the design (omissions, ambiguity, inconsistency) have been addressed before worrying about the syntax of the design model.
Design Concepts
The design concepts provide the software designer with a foundation from which more sophisticated methods can be applied. A set of fundamental design concepts has evolved. They are as follows:
Abstraction - Abstraction is the process or result of generalization by reducing the information content of a concept or an observable phenomenon, typically in order to retain only information which is relevant for a particular purpose. It is an act of Representing essential features without including the background details or explanations.
Refinement - It is the process of elaboration. A hierarchy is developed by decomposing a macroscopic statement of function in a step-wise fashion until programming language statements are reached. In each step, one or several instructions of a given program are decomposed into more detailed instructions. Abstraction and Refinement are complementary concepts.
Modularity - Software architecture is divided into components called modules.
Software Architecture - It refers to the overall structure of the software and the ways in which that structure provides conceptual integrity for a system. Good software architecture will yield a good return on investment with respect to the desired outcome of the project, e.g. in terms of performance, quality, schedule and cost.
Control Hierarchy - A program structure that represents the organization of a program component and implies a hierarchy of control.
Structural Partitioning - The program structure can be divided into both horizontally and vertically. Horizontal partitions define separate branches of modular hierarchy for each major program function. Vertical partitioning suggests that control and work should be distributed top down in the program structure.
Data Structure - It is a representation of the logical relationship among individual elements of data.
Software Procedure - It focuses on the processing of each module individually.
Information Hiding - Modules should be specified and designed so that information contained within a module is inaccessible to other modules that have no need for such information.
In his object model, Grady Booch mentions Abstraction, Encapsulation, Modularisation, and Hierarchy as fundamental software design principles.[4] The acronym PHAME (Principles of Hierarchy, Abstraction, Modularisation, and Encapsulation) is sometimes used to refer to these four fundamental principles.[5]
Design considerations
There are many aspects to consider in the design of a piece of software. The importance of each consideration should reflect the goals and expectations that the software is being created to meet. Some of these aspects are:
Compatibility - The software is able to operate with other products that are designed for interoperability with another product. For example, a piece of software may be backward-compatible with an older version of itself.
Extensibility - New capabilities can be added to the software without major changes to the underlying architecture.
Modularity - the resulting software comprises well defined, independent components which leads to better maintainability. The components could be then implemented and tested in isolation before being integrated to form a desired software system. This allows division of work in a software development project.
Fault-tolerance - The software is resistant to and able to recover from component failure.
Maintainability - A measure of how easily bug fixes or functional modifications can be accomplished. High maintainability can be the product of modularity and extensibility.
Reliability (Software durability) - The software is able to perform a required function under stated conditions for a specified period of time.
Reusability - The ability to use some or all of the aspects of the preexisting software in other projects with little to no modification.
Robustness - The software is able to operate under stress or tolerate unpredictable or invalid input. For example, it can be designed with resilience to low memory conditions.
Security - The software is able to withstand and resist hostile acts and influences.
Usability - The software user interface must be usable for its target user/audience. Default values for the parameters must be chosen so that they are a good choice for the majority of the users.[6]
Performance - The software performs its tasks within a time-frame that is acceptable for the user, and does not require too much memory.
Portability - The software should be usable across a number of different conditions and environments.
Scalability - The software adapts well to increasing data or number of users.
Modeling language
A modeling language is any artificial language that can be used to express information, knowledge or systems in a structure that is defined by a consistent set of rules. These rules are used for interpretation of the components within the structure. A modeling language can be graphical or textual. Examples of graphical modeling languages for software design are:
Architecture description language (ADL) is a language used to describe and represent the software architecture of a software system.
Business Process Modeling Notation (BPMN) is an example of a Process Modeling language.
EXPRESS and EXPRESS-G (ISO 10303-11) is an international standard general-purpose data modeling language.
Extended Enterprise Modeling Language (EEML) is commonly used for business process modeling across a number of layers.
Flowchart is a schematic representation of an algorithm or step-wise process.
Fundamental Modeling Concepts (FMC) is modeling language for software-intensive systems.
IDEF is a family of modeling languages, the most notable of which include IDEF0 for functional modeling, IDEF1X for information modeling, and IDEF5 for modeling ontologies.
Jackson Structured Programming (JSP) is a method for structured programming based on correspondences between data stream structure and program structure.
LePUS3 is an object-oriented visual Design Description Language and a formal specification language that is suitable primarily for modeling large object-oriented (Java, C++, C#) programs and design patterns.
Unified Modeling Language (UML) is a general modeling language to describe software both structurally and behaviorally. It has a graphical notation and allows for extension with a Profile (UML).
Alloy (specification language) is a general purpose specification language for expressing complex structural constraints and behavior in a software system. It provides a concise language base on first-order relational logic.
Systems Modeling Language (SysML) is a new general-purpose modeling language for systems engineering.
Service-oriented modeling framework (SOMF)[7]
Design patterns
A software designer or architect may identify a design problem which has been visited and perhaps even solved by others in the past. A template or pattern describing a solution to a common problem is known as a design pattern. The reuse of such patterns can help speed up the software development process.[8]
Technique
The difficulty of using the term "design" in relation to software is that in some senses, the source code of a program is the design for the program that it produces. To the extent that this is true, "software design" refers to the design of the design. Edsger W. Dijkstra referred to this layering of semantic levels as the "radical novelty" of computer programming,[9] and Donald Knuth used his experience writing TeX to describe the futility of attempting to design a program prior to implementing it:
TEX would have been a complete failure if I had merely specified it and not participated fully in its initial implementation. The process of implementation constantly led me to unanticipated questions and to new insights about how the original specifications could be improved.[10]
Usage
Software design documentation may be reviewed or presented to allow constraints, specifications and even requirements to be adjusted prior to computer programming. Redesign may occur after review of a programmed simulation or prototype. It is possible to design software in the process of programming, without a plan or requirement analysis,[11] but for more complex projects this would not be considered feasible. A separate design prior to programming allows for multidisciplinary designers and Subject Matter Experts (SMEs) to collaborate with highly skilled programmers for software that is both useful and technically sound.
See also
Aspect-oriented software development
Bachelor of Science in Information Technology
Design rationale
Interaction design
Icon design
Search-based software engineering
Software Design Description (IEEE 1016)
Software development
User experience
User interface design
Zero One Infinity
^
| https://en.wikipedia.org/wiki/Software%20design |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1029,
1245,
2055,
2280,
3454,
4356,
4986,
5191,
6020,
6262,
6576,
7364,
8046,
8788,
9177,
9821,
10016,
10104,
10231
],
"plaintext_end_byte": [
1000,
1229,
1988,
2279,
3442,
4355,
4951,
5190,
6019,
6261,
6562,
7363,
8045,
8774,
9141,
9724,
9995,
10092,
10217,
11639
]
} | هل تعد النعامة أكبر الطيورحجماً في العالم؟ | نعامة | arabic | {
"passage_answer_candidate_index": [
8
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"YES"
]
} |
نعامة (الاسم العلمي:Struthio camelus) هو نوع من الطيور يتبع جنس النعامة من فصيلة النعامية[1].
والنعامة من الطيور الكبيرة التي لا يمكنها الطيران. موطنه الأصلي أفريقيا والشرق الأوسط، إلا أنه تعرض خلال العصور لعمليات صيد جائر أتت على الأعداد التي كانت توجد في صحاري الشرق الأوسط، كما يوجد نوع آخر مشابه من النعام يتواجد في جنوب غرب آسيا. تزن ذكور النعام حوالي 100 - 150 كغم, كم يبلغ ارتفاعها حوالي 2,4 متر. يتميز النعام بقوة ساقيه المذهلة، حيث يستطيع العدو بسرعة تصل إلى 50 كلم\ساعة وأن يحافظ على سرعته تلك لمدة نصف ساعة والنعام هو الطائر الوحيد الذي له إصبعان في كل قدم.
السلوك
التغذية
تتغذى النعامات بالنباتات وأحيانا تأكل الزواحف وهي أيضا تأكل الكثير من الرمال لكى تساعدها على هضم (طحن) الطعام.
التكاثر
يبدأ موسم التكاثر في شهر مارس حتى شهر أكتوبر حوالي 8 أشهر تقريباً في العام الواحد ومتوسط إنتاج البيض للأنثى حوالي 60-100 بيضة في الموسم قد تصل إلى 120 بيضة.
تزن بيضة النعام ما بين 1 كلغ و 1,5 كلغ. تتناوب أنثى النعام مع الذكر على احتضان البيض حيث تحتضنه الأنثى نهارآ ويحتضنه الذكر ليلاً وتتميز بيضة النعامة بشكلها الدائري وكبر حجمهاو لونها الأصفر الداكن ومسامها الكبيرة ويفقس بيض النعامه بعد خمسة أسابيع أو ستة من وضعه.
لماذا تدفن النعامة رأسها في الرمال؟
تقوم النعامة بحفر حفرة في الأرض لتضع داخلها بيضها، ثم تقوم بين الحين والآخر بإدخال رأسها في تلك الحفرة للاطمئنان على بيضها.
طيور النعام بالرغم من طول رقابها وارتفاع قامتها إلا أنها قصيرة النظر، وهي تعيش في مراعيها باحثة عن ثمار نبات الحنظل، وهو من النباتات التي تفترش الأرض مثل الشمام والقرع العسلي، فتقترب برأسها من الأرض لدرجة تعجز معها عن رؤية ما يحيط بها من أخطار.
وقد تكيفت النعامة مع بيئتها المحيطة ، فتعلمت أن ترهف سمعها للتصنت على وقع خطوات الحيوانات المفترسة، وتعلمت بفطرتها أن انتقال الصوت في المواد الصلبة أسرع كثيراً من انتقاله في الهواء، لذلك فهي تتقن التصنت على الذبذبات التي ينتشر صداها في الأرض من مسافات بعيدة لوقع خطوات الحيوانات الخطرة وتميز أيضاً الإتجاه الذي تأتي من ناحيته تلك الأصوات، فتكون حافز لها على الهرب في الإتجاه الذي يضمن سلامتها.
تربية
تربية النعام مربحة جدا حيث تربى من أجل لحومها وريشها. وقد ارتبطت صورة النعام خطأ بالجُبن والغفلة، حيث يقال بأنه يخفي رأسه في الرمال عندما يشعر بالخطر، وليس هذا صحيحاً وفي دراسة شملت 200.000 نعامة في عام 1980، لم تسجل حالة دفنت فيها نعامة رأسها في الرمل ،أو حتى حاولت ذلك بل تبين خلافا لذلك أن النعامة إذا استشعرت الخطر تركل بساقيها الكبيرتين إذا مااضطرت للدفاع عن عشها ويتحول أحد أصابعها إلى سلاح فتاك ضد كل من يحاول أن يهاجمها ويصدر ذكر النعام صوتا غريبا كزئير الأسد به همسة غريبة من أجل الذود عن نطاقه.
يتم حاليآ استئناس النعام وتربيته في مزارع خاصة حيث أن المردود الأستثماري لها عالي ومجزي أقتصاديآ. تحتل الصين الآن المركز الخامس عالميآ في تربية النعام حيث يوجد لديهم حوالي 20 ألف من النعام المدجن في مزارع اعدت مؤخرآ لهذا الغرض حيث تستخدم منتجات النعام مثل اللحوم وقشور البيض والريش والدم والعظام والدهون والجلد في مجالات واسعة.
النعامة الأفريقية
النعامة الأفريقية (Struthio camelus) هي نوع من الطيور العدائة المنتمية لعائلة النعاميات وهي أكبر الطيور الحية حتى الآن.
يبلغ متوسط طول النعامة الأفريقية 2.50 م ووزنها 130 كغ (150 كغ كحد أقصى) ،وذكر النعامة هو أثقل وأكبر طائر في العالم كله. النعامة الأفريقية كباقي النعام لها هيئة ضخمة، تدعمها سيقانها الكبيرة والقوية التي تستعملها في العدو، وتعلوها رقبة طويلة التي تنتهي برأس صغير، السيقان عارية. لون الجلد يختلف عن باقي الأنواع، عيون النعامة الأفريقية كبيرة بالمقارنة مع رأسها ومزينة برموش طويلة. النعامة لديها أصبعين فقط في الرجلين وهي الوحيدة في طائفة الطيور ولايوجد بها مخالب.
تأتي الذكور ريشها باللون الأسود مع نهاية الأجنحة والذيل بالأبيض ،أما الأنثى فلون ريها رمادي باهت جدا مع القليل من الأبيض في الأجنحة.
تتواجد النعامة الأفريقية بمعظم الأراضي الأفريقية ولكنها مددت تواجدها إلى سوريا وتوجد في المناطق الصحراوية الرملية أو شبه الصحراوية مع الخضرة والغابات الأقل كثافة.
سلالات
يوجد حالياً 3 سلالات من طائر النعام هي:
1_النعام ذو الرقبة الحمراء:أكبرها حجماًوأكثرها شراسة وأكثرها مقاومة للأمراض ولكنها أقل في إنتاج البيض تنتج حوالي 8 إلى 12 بيضة سنوياً.
2_النعام ذو الرقبة الزرقاء:متوسط الحجم و هو بري الطباع و هو ينتج حوالي من 15 إلى 20 بيضة.
3_النعام الأسود الأفريقي:أصغرها حجماً وهو مستأنس وغزير في إنتاج البيض فالأنثى تضع حوالي 40 إلى 60 بيضة سنوياً وبعضها يضع أكثر من 100 بيضة.
تتكون النعامة الأفريقية من أربع سلالات هي:
Struthio camelus camelus، هي تعيش في المرتفعات بجبال الأطلس بشمال أفريقيا ،على الأراضي الصحراوية والشبه الصحراوية بكل من المغرب والجزائر والسنغال ونيجيريا وصولا إلى مصر وأثيوبيا والسودان.
Struthio camelus massaicus، يعيش في أفريقيا الشرقية (كينيا وتنزانيا).
Struthio camelus australis، توجد في الشرق الأوسط ،إنقرضت منذ 1960، تتواجد في جنوب سوريا وسيناء.
Struthio camelus syriacus ، تتواجد بجنوب أفريقيا وكذلك زامبيا وكوين.
لقد اختفت سلالة السورية من الوجود بعد صيدها المفرط بصحراء النقب والأردن والسعودية في 1960 م، وقد وجدت بعض العينات حوالي 13 من هذه السلالة بأثيوبيا وقد تعاد إلى صحراء النقب. هذه السلالات الأربع مهددة في كل من الجزائر، بوركينا فاسو، الكاميرون، مالي، موريتانيا، المغرب، النيجر ،نيجيريا، أفريقيا الوسطى، السنغال، السودان، تشاد.وعلى هذا النحو فهي مسجلة في قائمة الحمراء المعرضة للأنقراض ويمنع التجارة بها.
أمراضه
الأمراض الفيروسية:
1_النيو كاسل (new castle disease)
2_انفلونزا الطيور (avian influenza)
3_جدري الطير (fowl pox)
4_الألتهاب المعوي الفيروسي (corona viral enteritis)
5_التهاب الأمعاء النزفي (crimean congo harmohrrgic enteritis)
6_مرض بورنا (borna disease)
الأمراض البكتيرية:
1_السالمونيلا-الاشيرشياكولاي-السيدمموناس salmonellosis-e.coli-pseudomanas
2_مجموعة الكلوستريديا chlostridial disease
3_الألتهاب المعدي التضخمي megaabacterial gastritis
4_الكلاميديا clamydiosis
5_الفيبرو vibriosis
6_التهاب الحلق pharyngitis
7_الأيري سيبلاس erysiplus
8_الباستريللا pastaurellosis
9_التهاب الجيوب الأنفية infections sinusitis
10_التهاب الأكياس الهوائية air saculitis
الأمراض الفطرية:
1_النزلات المعوية الفطرية candidasis
صور
قدم النعامة
أنثى نعامة مستلقية على الأرض
بيض النعامة
مجموعة من النعام في الطبيعة بدولة فلسطين
انظر أيضاً
نعامة عربية
نعامة أفريقية
شبنم
شبنم جنوبي
مصادر
.
.
.
.
كتاب المعارف العلمي:النعام و الرومي والسمان لدار المعارف.
مراجع
تصنيف:أجناس الطيور
نعامة جملية
نعامة جملية
تصنيف:تربية الحيوان
نعامة جملية
تصنيف:حيوانات أفريقيا الجنوبية
تصنيف:حيوانات باتنة
تصنيف:حيوانات شرق أفريقيا
نعامة جملية
نعامة جملية
نعامة جملية
تصنيف:طيور الصومال
تصنيف:طيور الكاميرون
نعامة جملية
تصنيف:طيور النيجر
نعامة جملية
تصنيف:طيور أليفة
تصنيف:طيور أنغولا
نعامة جملية
تصنيف:طيور إثيوبيا
تصنيف:طيور إريتريا
تصنيف:طيور بوتسوانا
تصنيف:طيور تشاد
نعامة جملية
تصنيف:طيور تنزانيا
نعامة جملية
تصنيف:طيور جنوب الصحراء الكبرى
تصنيف:طيور جيبوتي
تصنيف:طيور حسب الاسم المألوف
تصنيف:طيور زامبيا
تصنيف:طيور زيمبابوي
تصنيف:طيور كينيا
تصنيف:طيور لا تطير
تصنيف:طيور مالي
تصنيف:طيور موريتانيا
تصنيف:طيور ناميبيا
نعامة جملية
تصنيف:كائنات باقية ظهرت خلال العصر الميوسيني
تصنيف:مواشي
تصنيف:نعاميات
نعامة جملية
تصنيف:حيوانات الصحراء الكبرى
| https://ar.wikipedia.org/wiki/%D9%86%D8%B9%D8%A7%D9%85%D8%A9 |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
1015,
1639,
2251,
2775,
3056,
3694,
3928,
4545,
5467,
5625,
6022,
6751,
7818,
8050,
8854,
9517,
9638,
11220,
11483,
11908,
12253,
12808,
13390,
13884,
14148,
14785,
15233,
15698,
15980,
16413,
16873,
17298,
17458,
17910,
18174,
19006,
19986,
20213,
20581,
20653,
22196,
22240
],
"plaintext_end_byte": [
995,
1638,
2250,
2774,
3027,
3693,
3927,
4544,
5466,
5612,
5988,
6716,
7817,
8022,
8853,
9516,
9637,
11205,
11466,
11876,
12252,
12807,
13331,
13835,
14147,
14784,
15232,
15697,
15973,
16412,
16843,
17297,
17457,
17876,
18173,
18967,
19985,
20190,
20568,
20627,
22178,
22237,
22457
]
} | Montako vakoojaa Suomessa on paljastunut ja tuomittu? | Bodominjärven murhat | finnish | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | Lua error in Module:Location_map at line 502: Unable to find the specified location map definition: "Module:Location map/data/Uudenmaan maakunta" does not exist.
Bodominjärven murhat on Suomen rikoshistorian tunnetuimpia tapauksia. Helluntaina 5. kesäkuuta 1960 espoolaisen Bodominjärven rannalla telttaretkellä olleet 15-vuotiaat Maila Irmeli Björklund ja Anja Tuulikki Mäki sekä 18-vuotias Seppo Antero Boisman surmattiin heidän nukkuessaan teltassaan murskaamalla heidän kallonsa lyömällä todennäköisesti isolla kivellä. Seurueeseen kuulunut neljäs nuori, silloin 18-vuotias Nils Wilhelm Gustafsson löytyi teltan päältä pahoin loukkaantuneena. Surmateot jäivät tuolloin selvittämättä laajasta tutkinnasta huolimatta, ja surmaajasta esitettiin useita erilaisia teorioita. Henkiin jäänyt Gustafsson pidätettiin yllättäen epäiltynä murhista vuonna 2004, mutta hän sai vapauttavan tuomion seuraavana vuonna. Bodominjärven murhien tekijää ei ole saatu selville.
Tapahtumien kulku
Ammattikoulussa opiskelleet Maila Irmeli Björklund ja Anja Tuulikki Mäki sekä valimo-oppilaat Nils Wilhelm Gustafsson ja Seppo Antero Boisman lähtivät lauantaina 4. kesäkuuta 1960 poikien moottoripyörillä telttaretkelle Espoon Högnäsiin Bodominjärven etelärannalle, lähelle Oittaan kartanon maita. He pystyttivät telttansa alkuillasta paikallisen uimarannan lähellä sijainneeseen niemeen. Nuoret viettivät iltaa ja kävivät puolenyön maissa nukkumaan, mutta heräsivät ilmeisesti uudelleen parin tunnin unen jälkeen. Pojat kävivät tuolloin onkimassa, minkä jälkeen käytiin uudelleen lepäämään.
Murhaaja iski mitä ilmeisimmin helluntaipäivänä varhain aamulla uhrien nukkuessa. Kaikki neljä saivat pään seudulle tylppiä iskuvammoja. Lisäksi Boismania ja Björklundia puukotettiin, jälkimmäistä yli kymmenen kertaa. Sekä Boismanin, Björklundin että Mäen ensisijaisena kuolinsyynä pidetään kallonmurtumaa ja sen seurauksena syntynyttä aivojen ruhjevammaa. Gustafssonilla, ainoalla henkiin jääneellä, oli mm. useita murtumia pään alueella. Häntä oli lyöty ilmeisesti kivellä leukaan ja takaraivoon. Hänelläkin epäiltiin aivovammaa. Gustafsson oli viikkoja sairaalassa ja toipui.
Uhrit ja romahtanut teltta löydettiin leiripaikalta sunnuntaina aamupäivällä, kun niemeen alkoi taas saapua uimareita. Puolitajuton Gustafsson vietiin sairaalaan, ja paikalle saapui tilanteen vakavuuden selvittyä runsaasti poliiseja ja kalustoa. Vielä samana päivänä järjestettiin tekijöiden tavoittamiseksi alueen teillä useita ratsioita sekä ympäristössä Suomen kaikkien aikojen suurin maastoharavointi, jonka tuloksena Espoon metsistä löydettiin 88 etsintäkuulutettua. Murhaajaa ei silti saatu kiinni.
Uhreilta oli viety tavaroita, mm. lompakot ja joitakin vaatteita. Osa vaatteista ja Nils Gustafssonin kengät löytyivät puolen kilometrin päästä kivenkolosta. Muita kadonneita tavaroita, mm. Seppo Boismanin nahkatakkia, ei löydetty etsinnöissä.
Tutkimuksia ja epäiltyjä
Murha-asetta ei löydetty telttapaikalta. Uhreilta katosi myös runsaasti tavaroita, joiden olinpaikka on jäänyt tähän päivään saakka epäselväksi. Näiden tiimoilta ei löytynyt johtolankoja. Gustafsson kertoi, ettei muistanut yön tapahtumista nukkumaanmenon jälkeen käytännössä mitään. Aamuyöllä lahden vastarannalla työssään ollut karjakko ja niemelle tulleet kaksi lintuharrastajapoikaa olivat nähneet liikettä niemessä, mutta havainnot olivat kaukaa. 14-vuotias onkijapoika, Olavi Kivilahti, oli nähnyt vaaleapuseroisen vaalean miehen menevän ohitse noin 50 metrin päästä, mutta hän oli likinäköinen.
Bodominjärven seudulla liikkuneista saatiin runsaasti silminnäkijöiden havaintoja. Vaaleasta miehestä saatiin heinäkuun loppuun mennessä noin 50 ilmoitusta. Ilmoitusten johdosta ei kuitenkaan suoritettu yhtään pidätystä.[1]
Kun verityöstä kului aikaa eikä tekijää löytynyt, poliisi käytti myös epätavallisia metodeja tämän etsimiseksi. Gustafsson hypnotisoitiin heinäkuun 2–5 päivinä 1960 ja murhapaikan lähellä varhain helluntaiaamuna liikkuneen miehen nähnyt kalastajapoika hypnotisoitiin viimeisen kerran kuuden vuoden kuluttua murhista. Heidän hypnoosissa antamiensa kuvausten perusteella tehtiin yksityiskohtaisiakin piirroksia epäillystä, mutta läpimurtoja ei saatu aikaan.[2] Gustafsson kuvasi hypnoosissa miehen, joka leikkasi telttaan reiän ja hakkasi heitä puukolla ja rautaputkeksi oletetulla esineellä.
Tuntomerkit olivat: ikä noin 20–30 vuotta, ei nuori eikä vanha, pituus noin 173–174cm, vartalo: tavallinen, tukevampi kuin Gustafsson itse, kasvot: pyöreähköt, tukka: vaalea, pitkä ja taaksepäin kammattu, korvat: tavalliset, ei ulkonevat, korvanlehti pyöreähkö, otsa: korkeahko ryppyinen epätasaisesti, ryppyjä vaakasuorassa, myös nenän päällä, silmät: suuret, väristä ei tietoa, nenä: suora joka puolelta, ei pitkä eikä lyhyt, kulmakarvat: tavalliset vaaleat, huulet: paksuhkot, leuka: voimakas, poskiluut: hieman ulkonevat, kaula: lyhyt, hampaat: valkoiset, ei tietoa, onko poissa, kädet: paksut ja isot sormet, iho: posket punaiset, erikoistuntomerkkeinä: finnejä otsassa ja poskissa, vaatetus: paksukankainen ruudullinen tumma pusero, jossa pienet mustat napit ja pusero napitettu ylös asti; puserossa montaa väriä, ainakin mustaa ja vihreää – ja päällelyödyt rintataskut.[3]
Murhatutkinta eli pitkään hiljaiseloa. Vuosien mittaan Bodominjärven murhista käydyssä yleisessä keskustelussa pysyi muutama kestoepäilty.
Pauli Luoma
Aluksi poliisi etsi muun muassa uhreille kuuluneen näköistä kassia kantanutta, alueella nähtyä mustapartaista polkupyöräntaluttajaa sekä Klapinkylässä metsästä ilmestynyttä veripaitaista miestä. Mies paljastui nopeasti. Hän oli työlaitoskarkuri Pauli Kustaa Luoma, jolla kuitenkin oli alibi murhayölle. Hän oli ollut tekojen aikaan Otaniemessä.
Pentti Soininen (n. 1945–1969)
Useista omaisuus- ja väkivaltarikoksista tuomittu laitosmies Pentti Soininen tunnusti 1960-luvun lopulla 24-vuotiaana ollessaan Kuopion lääninvankilassa tehneensä Bodominjärven veriteot. Hän oleskelikin 15-vuotiaana murhayönä lähellä Bodomia ollessaan karkuteillä koulukodista. Poliisi kuulusteli häntä, mutta hänen tunnustuksilleen ei annettu juurikaan painoarvoa. Luonteeltaan Soininen oli psykopaatti, joka saattoi toimia käsittämättömän arvoituksellisesti, varsinkin alkoholin ja lääkkeiden vaikutuksen alaisena. Soinisen pitkä rikosrekisteri sisälsi varkauksia, pahoinpitelyjä ja ryöstöjä. Soininen hirttäytyi Toijalan asemalla vankikuljetuksen tauolla 1969.[4]
Valdemar Gyllström (1909–1969)
Yksi murhien kestoepäillyistä oli Oittaalla kioskia pitänyt Karl Valdemar Gyllström. Hänen tiedettiin inhonneen telttailijoita ja käyttäytyneen aggressiivisesti. "Kioskimiehenä" tunnettu Gyllström hukkui tai hukuttautui Bodominjärveen vuonna 1969, ja hänen kerrotaan tunnustaneen murhat juovuspäissään naapurilleen ennen kuolemaansa sanoen: "Minä ne tapoin". Gyllströmin on kerrottu mm. täyttäneen kotipihansa kaivon muutama päivä murhien jälkeen ja siksi Gyllströmin talo ja pihamaa tutkittiin perin pohjin. Mitään raskauttavaa ei kuitenkaan löytynyt. Toisaalta on mahdollista, että ryöstetyt tavarat oli kaikki hävitetty. Muun muassa kioskimiehen vävyn on kerrottu olleen varma, että murha-ase on täytetyssä kaivossa. Poliisin mukaan kioskinpitäjällä oli murhayölle alibi, jonka oli antanut Gyllströmin vaimo. Vaimo oli kertonut valvoneensa koko yön, eikä mies ollut hänen mukaansa poistunut kotoaan. Alibin antanut vaimo kertoi kuitenkin ennen kuolemaansa, että mies oli uhannut tappaa hänet, jos hän kertoo totuuden.[5]
Espoolainen kunnallispoliitikko Ulf Johansson julkaisi vuonna 2016 kirjan Legenden om Bodom: Århundradets mordmysterium, jossa hän väittää paikallisten tienneen kioskinpitäjän olleen murhaaja. [6]
Hans Assmann (1923–1998)
Eniten epäilyksiä on kohdistunut KGB:n vakoojanakin pidettyyn saksalaissyntyiseen Hans Assmanniin, joka 6. kesäkuuta 1960 tuotiin Helsingin kirurgiseen sairaalaan hyvin erikoisesti käyttäytyvänä. Ihmetystä herätti myös potilaan epäsiisti olemus, muun muassa mustat kynnenaluset ja täynnä punaisia tahroja olleet vaatteet. Assmann valehteli sairaalahenkilökunnalle syyn nuhruiseen olemukseensa, mutta asuintietojaan hän ei valehdellut. Hän myös teeskenteli tajutonta ja oli aggressiivinen ja hermostunut. Assmann muistutti vaatetusta myöten kuvausta vaaleasta miehestä. Kun uutisissa kerrottiin etsintäkuulutetun tuntomerkkejä, Assman leikkautti vaaleat hiuksensa lyhyeksi. Assmann asui viiden kilometrin päässä Espoon Bodomista, josta oli vain lyhyt matka Bodominjärven rantaan.
Hänen mahdollista syyllisyyttään piti esillä erityisesti Kirurgisen sairaalan tuolloinen amanuenssi, myöhempi lääketieteen professori Jorma Palo, joka hoiti kyseisenä aikana sairaalassa Assmannia. Hän oli vakuuttunut Assmannin syyllisyydestä, kuten myös muu sairaalan henkilökunta. Poliisi kävi tapaamassa Assmannia vain pikaisesti, eikä halunnut kuulustella lääkäreitä, eikä ottanut Assmannin punatahraisia vaatteita tutkittavaksi. Palo kirjoitti murhista ja Assmannista kolme kirjaa. Entinen rikoskomisario Matti Paloaro yhdisti Assmannin myös viiteen muuhun murhaan, mm. Kyllikki Saaren surmaan ja jopa ministeri Penna Tervon kuolemaan.[7]
Assmann sopi mainiosti Nils Gustafssonin ja Olavi Kivilahden hypnoosissa myöhemmin antamiin murhaajan tuntomerkkeihin.
Poliisin mukaan Assmannilla oli kuitenkin täydellinen alibi, jota arkaluontoisuudensa vuoksi ei ollut annettu julkisuuteen. Keskusrikospoliisin Assmannia koskevat asiakirjat tulivat julkisiksi vuonna 2005. Poliisin mukaan Assmann oli ollut surmayön naisystävänsä alivuokralaisasunnossa ja tämän vuokraisäntä ja -emäntä näkivät hänet aamiaispöydässä. Asiakirjat vahvistavat, että Hans Assmann, tuolloin 36, yöpyi surmayön naisystävänsä kanssa naisystävän sisaren ja tämän miehen asunnossa Helsingissä. Assmannilla oli ollut tämä avioliiton ulkopuolinen suhde jo vuosia. Assman nukkui 33-vuotiaan naisystävänsä kanssa samassa vuoteessa. Ovi toisen pariskunnan huoneeseen oli koko yön auki eikä Assmann paikalla olleiden mukaan voinut poistua huomaamatta. Sisarenmies heräsi aamuvirkkuna jo kello 6 ja Assmann herätettiin kahville kello 9. Surmat oli tuolloin jo tehty, ja ensimmäiset ohikulkijat olivat nähneet kaadetun teltan. Vuokraisäntäpari oli naisystävän sisar ja tämän mies, joten he olivat Assmannin lähipiiriä. Poliisin mukaan Jorma Palon sairaalassa havaitsemat punaiset jäljet Assmannin vaatetuksessa sekä sekava käytös johtuivat siitä, että Assmann oli ollut maalaamassa punaisella maalilla ja juopotellut työmaallaan. Hänellä oli lisäksi jonkinlaisen tulehduksen aiheuttamia vatsavaivoja.[8] Jorma Palo epäili Assmannin olleen KGB:n agentti ja, että häntä suojeltiin ulkopoliittisista syistä. Poliisi on julkisuudessa väittänyt Jorma Palon kirjoja fiktioksi eli mielikuvituksen tuotteeksi.[9]
Kaksi onkijaa
Tuntemattomiksi jäivät Bodominjärvellä murhayönä onkineet kaksi nuorehkoa miestä. Miehet eivät koskaan ilmoittautuneet poliisille useista pyynnöistä huolimatta. Outoa oli myös se, että miehet jättivät onkimansa ahvenet rantakiville.
Nils Gustafsson
Telttaretkeltä ainoana eloonjäänyt Nils Gustafsson pidätettiin yllättäen epäiltynä murhista 44 vuoden kuluttua, vuonna 2004. Tutkimukset ja oikeudenkäynti saivat paljon huomiota tiedotusvälineissä. Nils Gustafsson sai vapauttavan tuomion käräjäoikeudessa seuraavana vuonna. Syyttäjät eivät valittaneet tuomiosta hovioikeuteen, joten käräjäoikeuden päätös sai lainvoiman.
Tapahtumat vuosina 2004–2005
Maaliskuun lopulla 2004 poliisi yllättäen pidätti ainoan hyökkäyksestä selvinneen, nyt jo eläkeläiseksi varttuneen Nils Gustafssonin epäiltynä Bodominjärven murhista. 2. huhtikuuta 2004 Espoon käräjäoikeus määräsi Gustafssonin vangittavaksi epäiltynä kolmesta murhasta. Seuraavana päivänä lehdistö kertoi vangitun nimen.
Keskusrikospoliisi ilmoitti lokakuussa 2004, että teltasta otettujen verinäytteiden analyysi tukee niitä tietoja, joita poliisilla on epäillyn, Nils Gustafssonin osuudesta murhaan. Vangitsemisen aikoihin poliisi kertoi myös, että nykyisin tunnettu DNA-tekniikka, jota ei vielä vuonna 1960 ollut käytettävissä, oli tuonut esiin merkittäviä uusia seikkoja asiassa. Seuranneessa oikeuskäsittelyssä ei kuitenkaan veri- tai DNA-näytteistä saatu mitään oleellista uutta näyttöä sen enempää Gustafssonin puolesta kuin häntä vastaankaan.
Gustafssonin kanta on johdonmukaisesti aina tapahtumista lähtien ollut, ettei hänellä ole mitään muistikuvia niistä. Hänen näkemyksensä mukaan häneen kohdistunut pahoinpitely aiheutti aivovaurion, josta seurasi muistinmenetys. Kysymys siitä, oliko Gustafssonin kalloon todellakin kohdistunut riittävän voimakasta iskua aiheuttamaan muistinmenetyksen, oli keskeisesti esillä oikeudessa. Syyttäjät pyrkivät vähättelemään Gustafssonille aiheutuneita vaurioita ja väittivät hänen liioitelleen vammojaan.
Oikeudenkäynti vuonna 2005
Syyttäjäpuolen näkemyksiä
Syyttäjien mukaan Seppo Boisman ja Nils Gustafsson olivat alkoholia nautittuaan riitautuneet. Lisäksi syyttäjät väittivät, että Irmeli Björklund olisi torjunut Gustafssonin seksuaalisen lähentely-yrityksen, minkä seurauksena Gustafsson olisi suuttunut menettäen täysin itsehillintänsä. Väite on yhteydessä siihen, että Björklundin ruumista oli lyöty lääkärintodistusten mukaan viisitoista kertaa – oletettavasti puukolla.
Käsittely Espoon käräjäoikeudessa ja tuomio
Espoon käräjäoikeudessa 8. kesäkuuta 2005 vireille tulleessa ja 4. elokuuta 2005 alkaneessa oikeudenkäynnissä syyttäjät vaativat Gustafssonille elinkautista vankeusrangaistusta kolmesta murhasta. Gustafsson kiisti syytteen ja vaati sen hylkäämistä.[10]
Käräjäoikeuden puheenjohtajana toimi laamanni Heikki Mikkola, toinen lainoppinut jäsen oli käräjätuomari Juha Lehto ja lisäksi kokoonpanossa oli neljä lautamiesjäsentä. Käräjäoikeus toimi siis jutun merkityksellisyyteen nähden luonnollisessa maksimikokoonpanossa. Syyttäjinä jutussa toimivat johtava kihlakunnansyyttäjä Tom Ifström ja kihlakunnansyyttäjä Heli Haapalehto. Gustafssonia puolustivat asianajajat Riitta Leppiniemi ja Heikki Uotila. Jutussa oli yksitoista asianomistajaa, joista kuusi yhtyi syytteeseen ja vaati Gustafssonille rangaistusta.[10] Asianomistajien avustajana oli asianajaja Heikki Lampela.
Oikeudenkäynti oli mittava. Esitutkinta-aineisto oli laaja ja sisälsi kymmeniä rikoslaboratorion verenjälki- ja DNA-jälkilausuntoja. Oikeussaliin pystytettiin nuorten tapahtuman aikana käyttämä, veren tahrima teltta. Oikeus suoritti erittäin poikkeuksellisesti katselmuksen paikan päällä maastossa, jonka ajaksi poliisi eristi alueen. Kolmea eri professoritason lääkäriä kuultiin todistajina Gustafssonin saamien vammojen laadusta.
Käräjäoikeus hylkäsi kaikki syytteet ja muut asiassa esitetyt vaatimukset 7. lokakuuta 2005 antamallaan tuomiolla.[10] Käräjäoikeuden mukaan mikään ei osoittanut, että Gustafsson olisi syyllistynyt tekoon. Päätöksessä tyrmättiin syyttäjien esittämä teoria Gustafssonin mustasukkaisuudesta, eikä näyttö edes kokonaisuudessaan osoittanut häntä syylliseksi. Lisäksi ulkopuolinen silminnäkijähavainto puhui ulkopuolisen tekijän puolesta.[11]
Oikeusoppineet kehuivat Bodom-tuomion perusteluja ja arvelivat, että selkeä tuomio saattaa vaikuttaa syyttäjän arvioon siitä, kannattaako tuomiosta valittaa hovioikeuteen.[11] Käräjäoikeuden yksimielisestä päätöksestä ei valitettu, joten se tuli lainvoimaiseksi.
Muuta
Oikeudenkäynnin alkaessa Gustafsson piti yhden harvinaisista lehdistötilaisuuksistaan. Tilaisuudessa toimittajat riepottelivat hänen logiikkansa ristiriitaa, kun hän toisaalta ilmoitti, ettei hän muista tapahtumista mitään, mutta toisaalta muistaa tapahtumista varmuudella sen, ettei hän ole surmannut kolmea retkitoveriaan. Gustafsson ei ryhtynyt selittelemään logiikkaansa, vaan tokaisi: "Olen syytön ja sillä sipuli."
Keskusrikospoliisi olisi halunnut pitää Gustafssonin vangittuna oikeudenkäynnin ajan paonvaaran vuoksi sekä tutkinnallisista syistä. Käräjäoikeus kuitenkin hylkäsi keskusrikospoliisin vaatimuksen 28.toukokuuta 2004, joten Gustafssonin vapaudenmenetys kesti vain 59 päivää, eikä koko oikeudenkäynnin ajan. 28. maaliskuuta 2004 alkaneesta Gustafssonin vangitsemisesta oli tuomiota julistettaessa kulunut 524 päivää.
Asian tutkijan todistuksesta
Ehkä eniten huomiota sai kuitenkin keskusrikospoliisin tutkijan todistus. Hän tuli kuultavaksi oikeuteen todistajana ja kertoi – vastoin kaikkea esitutkintamateriaaliin virallisesti merkittyä –, että Gustafsson olisi tultuaan vangituksi ja selliosastolle mennessään sanonut ”tehty mitä tehty, viisitoista vuotta tuli”, minkä tutkija ilmoitti käräjäoikeudessa käsittävänsä surmatekojen tunnustukseksi.
Gustafssonin mukaan hän itse ei muistanut sanoneensa tutkijan väittämällä tavalla ja että jos näin on tapahtunut, kysymys on voinut olla huulenheitosta.
Käräjäoikeus kuitenkin katsoi, että tutkijan kertoman lausuman tarkka sisältö ja asiayhteys jäi selvittämättä. Lisäksi oikeus lausui seuraavaa: ”Se, että väitetty lausuma ei ole johtanut mihinkään toimenpiteisiin osoittaa, että vaikka Gustafsson olisikin lausuman sanonut, se ei ole ollut mikään todellinen kannanotto syyllisyyteen ja että [tutkijakin] on tuolloin asian näin käsittänyt”.[10]
Korvaukset vapaudenmenetyksestä
Gustafsson haki korvausta vapaudenmenetyksen hänelle aiheuttamista kärsimyksistä. Valtio olisi myöntynyt 19200 euron korvauksiin. Valtion ja Gustafssonin välillä käydyissä neuvotteluissa osapuolet pääsivät yksimielisyyteen 44900 euron korvauksesta.[12]
Gustafssonin saama korvaus perustuu lakiin syyttömästi vangitun oikeudesta saada korvauksia valtion varoista vapauden menetyksen johdosta (Laki 31.5.1974/422).[13] Lain perusteella maksettujen korvausten määrässä on ollut huomattavaa hajontaa. Korvausten määrä ei ole juuri ollut itsenäisenä kysymyksenä ratkaistavana ylemmissä oikeusasteissa, vaan pelkästään muiden oikeudellisten kysymysten liitännäisinä, esimerkiksi tapauksissa KKO 1991:128, 1993:63 ja 1993:152. Näissä tapauksissa on käsitelty pääasiassa sitä, onko hakija ollut oikeutettu ylipäätään samaan korvausta ja vain sen vuoksi siihen liitännäisenä kysymystä korvauksen määrästä. Kysymys Gustafssonin saaman korvausmäärän kohtuullisuudesta on sen vuoksi vertailukohtien puuttuessa hankala.
Gustafssonin oikeudenkäynti mediassa
Lähes Kyllikki Saaren murhan kaltaisen yleisökiinnostuksen saavuttanutta juttua varten Ilta-Sanomissa laadittiin 24 eri lööppiä 3.4.2004—8.10.2005. Myös Iltalehden lööpitys oli runsasta. Otsikoita olivat muun muassa: "Vangittu: Olen syytön!" (5. huhtikuuta 2005) ja "Poliisi lavasti Bodomin surmat" (2. kesäkuuta 2004), jolla viitattiin siihen, että poliisi rakensi surmateltan oikeuden nähtäväksi verijälkien selittämistä varten, sekä "Poliisi on varma: Bodomin murhat on ratkaistu" (2. lokakuuta 2004). Jyrkkiä lausuntoja antoi iltapäivälehdissä myös entinen syyttäjä Ritva Santavuori, jonka mukaan käräjäoikeudella ei ollut kapasiteettia päätöksessään punnita sekä puolesta että vastaan, vaan että päätös on huonosti perusteltu. Santavuori arvosteli ratkaisua merkillisenä erityisesti sen osalta, että käräjäoikeuden mielestä tutkinnanjohtaja ei ollut pitänyt lausumaa "tehty mitä tehty" todellisena kannanottona syyllisyyteen.
Gustafsson vaati medialta korvauksia kunnianloukkauksesta, mutta kihlakunnansyyttäjät Heikki Poukka ja Simo Kolehmainen päättivät olla nostamatta syytteitä tiedotusvälineiden edustajia vastaan.[14]
Populaarikulttuurissa
Vuonna 2016 ensi-iltansa saanut Bodom, jonka on ohjannut Taneli Mustonen, kertoo Bodominjärven murhista. Elokuvassa neljä nykypäivän nuorta lähtee telttailemaan Bodominjärvelle rekonstruoidakseen siellä vuonna 1960 tapahtuneet Bodominjärven murhat. Elokuvan pääosissa ovat Mimosa Willamo, Nelly Hirst-Gee, Santeri Helinheimo sekä Mikael Gabriel
Katso myös
Bodom (vuoden 2016 elokuva)
Ei vanhene koskaan
Lähteet
Kirjallisuutta
Citation error, replace with{{cite book| author = Jermo, Aake| title = Murha ei vanhene koskaan| location = Helsinki| publisher = Otava| year = 1975| isbn = 951-1-02135-4}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Johansson, Ulf| title = Legenden om Bodom: Århundradets mordmysterium| location = Esbo| publisher = Ulf Johansson| year = 2016| isbn = 978-952-93-7866-1}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Kuosma, Tapio| title = Murhamysteerit: selvittämättömien henkirikosten ongelma| location = Espoo| publisher = Livres "Belles-Lettres"| year = 2006| isbn = 952-99683-0-2}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Markkula, Hannes| title = Bodomin murhat| location = Helsinki| publisher = Gummerus| year = 2005| isbn = 951-20-6756-0}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Markkula, Hannes| title = Suomalainen murha| location = Helsinki| publisher = Eurooppalainen Kustannustalo| year = 1991| isbn = 951-96267-0-0}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Palo, Jorma| title = Bodomin arvoitus| location = Helsinki| publisher = WSOY| year = 2003| isbn = 951-0-27893-9}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Palo, Jorma| title = Nils Gustafsson ja Bodomin varjo| location = Helsinki| publisher = WSOY| year = 2006| isbn = 951-0-32269-5}}
Citation error, replace with{{cite book| author = Paloaro, Matti – Palo, Jorma| title = Luottamus tai kuolema! Hans Assmannin arvoitus| location = Helsinki| publisher = Tammi| year = 2004| isbn = 951-31-3205-6}}
Aiheesta muualla
Ylen elävä arkisto.
Alibi 7/1980.
Luokka:2000-vuosikymmenen oikeustapaukset
Luokka:Espoon historia
Luokka:Selvittämättömät henkirikokset Suomessa
Luokka:Vuoden 1960 rikokset
Luokka:1960-luvun rikokset Suomessa
Luokka:Seulonnan keskeiset artikkelit
| https://fi.wikipedia.org/wiki/Bodominj%C3%A4rven%20murhat |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1161,
2387,
3475,
4933,
6137,
7322,
8189,
9010,
9208,
9829,
10976,
11819,
12261,
12498,
15146,
15508,
15651,
18372,
18509,
18868,
19650,
19796,
19910,
20262,
21029,
22576,
23481,
24135,
25045,
26769,
27036,
27386,
27706,
29191
],
"plaintext_end_byte": [
1160,
2367,
3474,
4888,
6117,
7305,
8137,
8993,
9178,
9802,
10895,
11818,
12260,
12469,
15039,
15450,
15643,
18330,
18508,
18828,
19611,
19795,
19893,
20223,
21003,
22532,
23440,
24134,
25017,
26749,
27000,
27363,
27659,
29132,
29304
]
} | 2010 నాటికి విజయనగరం జిల్లా కలెక్టర్ ఎవరు? | ప్రకాశం జిల్లా | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
ప్రకాశం జిల్లా ఆంధ్ర ప్రదేశ్ రాష్ట్రము యొక్క తొమ్మిది కోస్తా ప్రాంతపు జిల్లాల్లో ఒకటి. ప్రకాశం జిల్లా ముఖ్య పట్టణము ఒంగోలు. ఒంగోలు జిల్లా ఫిబ్రవరి 2,1970వ తేదీన, నెల్లూరు, కర్నూలు మరియు గుంటూరు జిల్లాల యొక్క కొంత భాగముల నుండి ఆవిర్భవించింది. తరువాత డిసెంబర్ 5,1972వ తేదీన, జిల్లాలోని కనుపర్తి గ్రామములో పుట్టిన గొప్ప దేశభక్తుడు మరియు ఆంధ్ర నాయకుడైన, ఆంధ్ర కేసరి టంగుటూరి ప్రకాశం పంతులు జ్ఞాపకార్ధము ప్రకాశం జిల్లాగా నామకరణము చేయబడింది.
స్వాతంత్ర్యోద్యమ సమయంలో ఈ జిల్లాలో జరిగిన చీరాల పేరాల ఉద్యమం పేరుగాంచింది. భారతాన్ని తెనిగించిన కవిత్రయాల్లో ఒకరైన ఎర్రాప్రగడ,సంగీత విద్వాంసుడు త్యాగరాజు, శ్యామశాస్త్రి, జాతీయ జెండా రూపశిల్పి పింగళి వెంకయ్య, ఇంజనీరు మోక్షగుండం విశ్వేశ్వరయ్య ఈ జిల్లా వారే. వరి, సజ్జలు, రాగులు, జొన్నలు, చెరకు, వేరుసెనగ, ప్రత్తి, పొగాకు ప్రధానపంటలు. మార్కాపురం పలకలకు, చీమకుర్తి గ్రానైట్ గనులకు ప్రసిద్ధి. ప్రకాశంజిల్లా అనగానే గుర్తుకు వచ్చేవి ఒంగోలు జాతి గిత్తలు.
చరిత్ర
జిల్లా చరిత్రకు శ్రీపొట్టి శ్రీరాములు నెల్లూరు, కర్నూలు, గుంటూరు జిల్లాల చరిత్రే ఆధారం. ఈ ప్రాంతాన్ని ఇక్ష్వాక, పల్లవ, చాళుక్య,కాకతీయ రాజ వంశాలు, రెడ్డిరాజులు, విజయనగర రాజులు, గోల్కొండ, కర్ణాటక నవాబులు పరిపాలించారు. భారతాన్ని తెనిగించిన కవిత్రయములో ఒకరైన ఎర్రాప్రగ్గడ, సంగీతంలో పేరుగాంచిన శ్యామశాస్త్రి, జాతీయ జెండా రూపశిల్పి పింగళి వెంకయ్య, ఇంజనీరు మోక్షగుండం విశ్వేశ్వరయ్య ఈ ప్రాంతానికి చెందినవారే.
స్వాతంత్ర్యోద్యమ సమయంలో చీరాల పేరాల ఉద్యమం నడిపిన దుగ్గిరాల గోపాలకృష్ణయ్య, కొండా వెంకటప్పయ్య, నరసింహరావు ప్రసిద్దులు. ఆంధ్ర ప్రదేశ్ రాష్ట్రావతరణ తర్వాత మొదటిగా ఒంగోలు జిల్లా ఏర్పడింది. ప్రకాశం జిల్లా గుంటూరు జిల్లా యొక్క మూడు తాలూకాలు (అద్దంకి, చీరాల మరియు ఒంగోలు), శ్రీ పొట్టి శ్రీరాములు నెల్లూరు జిల్లా యొక్క నాలుగు తాలూకాలు (కందుకూరు, కనిగిరి, పొదిలి మరియు దర్శి) మరియు కర్నూలు జిల్లా యొక్క రెండు తాలూకాలతో (మార్కాపురం మరియు గిద్దలూరు) ఏర్పడినది. 1972 లో టంగుటూరి ప్రకాశం పంతులు గుర్తుగా ప్రకాశం జిల్లాగా [1] పేరు మార్చబడింది.
భౌగోళిక స్వరూపం
ప్రకాశం జిల్లా ఆంధ్ర ప్రదేశ్ రాష్ట్రపు దక్షిణ కోస్తాలో సుమారు 150.90 మరియు 160 డిగ్రీల ఉతర అక్షాంశాలు 79 మరియు 80 డిగ్రీల తూర్పు రేఖాంశాల మధ్య నెలకొని ఉంది. ఉత్తరాన మహబూబ్ నగర్ మరియు గుంటూరు జిల్లాలు, పశ్చిమాన కర్నూలు జిల్లా, దక్షిణాన వైఎస్ఆర్ జిల్లా, శ్రీ పొట్టి శ్రీరాములు నెల్లూరు జిల్లాలు, తూర్పున బంగాళా ఖాతము సరిహద్దులుగా ఉన్నాయి. జిల్లాలోని మధ్య ప్రాంతం చిన్న చిన్న పొదలతో, కొండలతో, రాతి నేలలతో కూడి జిల్లాకు ఒక ప్రత్యేకతను ఆపాదిస్తున్నాయి.
కొండలు
త్యాగరాజు
నల్లమల, వెలుగొండలు జిల్లాలోని ముఖ్యమైన కొండలు. నల్లమల కొండలు గిద్దలూరు, మార్కాపురం మండలాలలో వ్యాపించి ఉండగా, వెలుగొండ కర్నూలు, వైఎస్ఆర్ జిల్లాల సరిహద్దులలో ఉన్నాయి. నల్లమలలో నంది కనుమ, మాబాల కనుమ అనే రెండు ముఖ్యమైన కనుమలు ఉన్నాయి. నంది కనుమ పశ్చిమాన గల కర్నూలు,బళ్ళారి జిల్లాలకు, తూర్పున కోస్తా జిల్లాలకు ప్రధాన మార్గం కాగా, మాబాల కనుమ పశ్చిమాన ఆత్మకూరు, కర్నూలును తూర్పున దోర్నాల, యర్రగొండపాలెం, మార్కాపురం లను కలుపుతుంది.
నదులు
గుండ్లకమ్మ, పాలేరు, మూసీ, మున్నేరు, సగిలేరులు జిల్లాలో ప్రవహించే ముఖ్యమైన నదులు. వీటిలో 220 కి మీలు ప్రవహించే గుండ్లకమ్మ నది జిల్లా యొక్క తాగునీటి, సాగునీటి అవసరాలకు తల్లి వంటిది. తమ్మిలేరు, ఈగిలేరు, గుడిశలేరు అనే చిన్న నదులు, వాగేరు వాగు, నల్లవాగు, యేడి మంగల వాగు వంటి వాగులు కూడా జిల్లాలో ప్రవహిస్తున్నాయి.
వాతావరణం, వర్షపాతం
జిల్లా లోని కోస్తా ప్రాంతాల్లో సముద్రపు గాలి వలన అన్నికాలాల్లోను వాతావరణం ఒకే రకంగా ఉంటుంది. ఇతర ప్రాంతాల్లో, ముఖ్యంగా మెట్ట ప్రాంతాల్లో వేసవి కాలం చాలా తీవ్రంగా ఉంటుంది. జూన్- సెప్టెంబరులో నైరుతి ఋతుపవనాలు, అక్టోబరు - డిసెంబరులో ఈశాన్య ఋతుపవనాల వలన వర్షాలు కురుస్తాయి. జిల్లా సగటు వర్షపాతం 764మిమి.
నేలలు
ఎర్ర, నల్ల రేగడి, ఇసుక నేలలు క్రమంగా 51%, 41%, 6% వరకు జిల్లాలో ఉన్నాయి.
వృక్ష సంపద
జిల్లా విస్తీర్ణంలో 4,42,500 హెక్టార్లలో (25.11% )అడవులు ఉన్నాయి. కోస్తా ప్రాంతంలో చీరాల, వేటపాలెం, చిన్నగంజాం, కొత్తపట్నం, సింగరాయకొండ, ఉలవపాడు లలోజీడి మొదలైన చెట్లతో కూడిన అడవులు ఉన్నాయి. ఉలవపాడు లలో మామిడి, సపొటా తోటలు ప్రసిద్ధి.
ఖనిజ సంపద
పలకలు, బలపాలకు పనికివచ్చే రాయి విస్తారంగా గిద్దలూరు మండలంలోని ఓబయనాపల్లి నుండి మార్కాపురం మండలంలోని కుళ్లపేట వరకు దొరుకుతుంది. భారతదేశం వుత్పత్తిలో దాదాపు 80 శాతం ఇక్కడేజరుగుతుంది. కోగిజేడు, మార్లపాడు గ్రామంలో మాగ్నటైట్, ముడి ఇనుము నిక్షేపాలున్నాయి. ఇంకా క్వార్ట్జ్, జిప్సం, సిలికా, సున్నపురాయి, బేరియం సల్ఫేట్ దొరుకుతున్నాయి. ప్రపంచంలోనే అతి శ్రేష్ఠమైన గాలక్సీ గ్రానైటు జిల్లాలో దొరుకుతుంది.
ఆర్ధిక స్థితి గతులు
వ్యవసాయం
జిల్లా విస్తీర్ణంలో 37 శాతం మాత్రమే వ్యవసాయభూమి. 72 శాతం ఆహర పంటలు,28శాతం అహారేతర పంటలు పండుతున్నాయి. 3,10,433 కమతాలున్నాయి.
వర్జీనియా పొగాకు ఉత్పత్తిలో జిల్లా ప్రసిద్ధి చెందింది. వరి, జొన్న, రాగి, మొక్కజొన్న, కొర్రలు, పప్పు ధాన్యాలు, మిరప, పత్తి,శనగ, వేరుశనగ, ఆముదం ఇక్కడ పండే ఇతర పంటలు. పత్తివుత్పత్తిలో నాలుగో స్థానంలో ఉంది.
మొత్త సాగుభూమిలో 24 శాతానికి నీటి పారుదల సౌకర్యం ఉంది. కాలువల ద్వారా 71000 హెక్టార్లు, చెరువుల ద్వారా 34000 హెక్టార్లు, గొట్టపు బావులద్వారా 65000 హెక్టార్లు భూమి సాగవుతున్నది.
జిల్లాలోని 102 కి మీల సముద్ర తీరంలో సముద్ర ఉత్పత్తులు విరివిగా అవకాశాలున్నాయి.
పరిశ్రమలు
జిల్లాలో ఐరన్ ఓర్, గ్రానైట్, ఇసుక, సిలికా, బైరటీస్, సున్నపురాయి, పలకలకు సంబంధించిన గనులు ఉన్నాయి. ప్రపంచ ప్రసిద్ధి గాంచిన గెలాక్సీ గ్రానైట్ నిక్షేపాలు చీమకుర్తి, ఆర్.ఎల్.పురం, బూదవాడల్లో 8.60 మిలియన్ క్యూబిక్ మీటర్లు, వివిధ రంగుల గ్రానైట్ నిక్షేపాలు జిల్లాలోని ఉప్పుమాగులూరు, ఏల్చూరు, దర్శి, కనిగిరి, అద్దంకిల్లో 13.86 మిలియన్ల క్యూబిక్ మీటర్లు మరియు బ్లాక్ పెరల్ గ్రానైట్ నిల్వలు 0.435 మిలియన్ క్యూబిక్ మీటర్లు ఉన్నట్లు అంచనా.ఇవేగాక ప్రత్తి జిన్నింగ్, పొగాకు, మంగుళూరు టైల్స్, పలకల తయారీ, జీడిపప్పు పరిశ్రమలు ఉన్నాయి. దేశానికి అవసరమైన రాతి పలకలో 80% మార్కాపురం నుండే 100కు పైగా పరిశ్రమలలో వుత్పత్తి చేయబడుతుంది. సముద్ర తీరం (చినగంజాం,పాకల,ఊళ్ళపాలెం,కేసుపాలెం,కరేడు ....మొదలైనవి. )పొడుగునా 5000 ఎకరాల విస్తీర్ణంలో ఉప్పును పండిస్తారు.
అవస్థాపన:
జిల్లాలో ఆరు పారిశ్రామిక వాడలు ( ఒంగోలు, మార్కాపూర్, గిద్దలూరు, ఒంగోలు అభివృద్ధి కేంద్రము, ఒంగోలు ఆటోనగర్, వుడ్ కాంప్లెక్స్ ఒంగోలులో ఉన్నాయి. జిల్లా పరిశ్రమల కేంద్రం పరిశ్రమాభివృద్ధికి తోడ్పడుతున్నది.
[2]
డివిజన్లు లేదా మండలాలు, నియోజక వర్గాలు
రెవిన్యూ డివిజన్లు (3): కందుకూరు, ఒంగోలు, మార్కాపురం
మునిసిపాలిటీలు (3):చీరాల, మార్కాపురం అద్దంకి కనిగిరి ( గిద్దలూరు)
నగరపాలక నంఘము:ఒంగోలు
గ్రామాలు:1005, గ్రామ పంచాయితీలు:775
రెవిన్యూ మండలములు: 56
1.యర్రగొండపాలెం మండలం
2.పుల్లలచెరువు మండలం
3.త్రిపురాంతకము మండలం
4.కురిచేడు మండలం
5.దొనకొండ మండలం
6.పెద్దారవీడు మండలం
7.దోర్నాల మండలం
8.అర్ధవీడు మండలం
9.మార్కాపురం మండలం
10.తర్లపాడు మండలం
11.కొంకణమిట్ల మండలం
12.పొదిలి మండలం
13.దర్శి మండలం
14.ముండ్లమూరు మండలం
15.తాళ్ళూరు మండలం
16.అద్దంకి మండలం
17.బల్లికురవ మండలం
18.సంతమాగులూరు మండలం
19.యద్దనపూడి మండలం
20.మార్టూరు మండలం
21.పర్చూరు మండలం
22.కారంచేడు మండలం
23.చీరాల మండలం
24.వేటపాలెం మండలం
25.ఇంకొల్లు మండలం
26.జే.పంగులూరు మండలం
27.కొరిసపాడు మండలం
28.మద్దిపాడు మండలం
29.చీమకుర్తి మండలం
30.మర్రిపూడి మండలం
31.కనిగిరి మండలం
32.హనుమంతునిపాడు మండలం
33.బేస్తవారిపేట మండలం
34.కంభం మండలం
35.రాచర్ల మండలం
36.గిద్దలూరు మండలం
37.కొమరోలు మండలం
38.చంద్రశేఖరపురం మండలం
39.వెలిగండ్ల మండలం
40.పెదచెర్లోపల్లి మండలం
41.పొన్నలూరు మండలం
42.కొండపి మండలం
43.సంతనూతలపాడు మండలం
44.ఒంగోలు మండలం
45.నాగులుప్పలపాడు మండలం
46.చినగంజాము మండలం
47.కొత్తపట్నం మండలం
48.టంగుటూరు (ప్రకాశం జిల్లా) మండలం
49.జరుగుమిల్లి మండలం
50.కందుకూరు మండలం
51.వోలేటివారిపాలెము మండలం
52.పామూరు మండలం
53.లింగసముద్రము మండలం
54.గుడ్లూరు మండలం
55.ఉలవపాడు మండలం
56.సింగరాయకొండ మండలం
నియోజకవర్గాలు
లోక్సభ నియోజకవర్గములు:: 01
శాసనసభ నియోజకవర్గములు:: 12
అద్దంకి,
ఎర్రగొండపాలెం,
ఒంగోలు,
కందుకూరు,
కనిగిరి,
కొండపి,
గిద్దలూరు,
చీరాల,
దర్శి,
పరుచూరు,
మార్కాపురం మరియు
సంతనూతలపాడు
రవాణా వ్వవస్థ
చెన్నయ్-ఢిల్లీ రైలు మార్గము, గుంతకలు గుంటూరు రైలు మార్గము జిల్లాలోని ప్రాంతాలకు రవాణా సౌకర్యం కలిగిస్తున్నాయి. రైల్వే లైను పొడవు242 కిమీ. ఎన్.హెచ్.5. జాతీయ రహదారి (ఆరు దారుల) జిల్లాలో 117 కిమీ, రాష్ట్ర రహదారులు 570 కిమీ, జిల్లా పరిషత్ రహదారులు 1786 కిమీ, ఇతర జిల్లా రహదారులు 936 కిమీ వున్నాయు.
మండల గణాంకాలు
కాలాంశం భాప్రాకా (గ్రీ.కా+530)-విస్తీర్ణం 17,626 కి.మీ² (6,805 చ.మై)
ముఖ్య పట్టణము ఒంగోలు-ప్రాంతం కోస్తా
జనాభా
• జనసాంద్రత
• పట్టణ
• మగ
• ఆడ
• అక్షరాస్యత శాతం
• మగ
• ఆడ 33,92,764 (2011)
• 192/కి.మీ² (497/చ.మై)
• 4,66,000 (2001)
• 17,12,735 (2011)
• 16,80,029 (2011)
• 57.86 (2001)
• 69.78 (2001)
• 45.6 (2001)
జనాభా లెక్కలు
2011 జనగణన ప్రకారం జనసంఖ్య 3,392,764 తో [3] పనామా దేశానికి సరిపోలుతుంది[4] లేక అమెరికా లోని కొనెక్టికట్ రాష్ట్రంతో సరిపోతుంది.[5] దేశం మొత్త 640జిల్లాలలో ఇది 98స్థానంలో ఉంది. జనసాంద్రత 192 చకిమీ.[3] 2001-2011దశకానికి జనాభా పెరుగుదల 10.9 %.[3] లింగ నిష్పత్తి 981 స్త్రీలు ప్రతి 1000 పురుషలకు [3] మరియు అక్షరాస్యత 63.53 %.[3]
సంస్కృతి
ప్రకాశం సంస్కృతి రెండు ప్రాంతాల (రాయలసీమ, కోస్తా) మేళవింపుగావుంది. ఒంగోలు డివిజన్ లోని ఈశాన్య భాగం గుంటూరుకు దగ్గరగా వుండే వ్యవసాయాధారిత ప్రధాన సంస్కృతికాగా, కందుకూరు డివిజన్ లో అలాలేదు. మార్కాపూర్ డివిజన్ లో కర్నూలు ప్రాంత మరియు గుంటూరు ప్రాంత సంస్కృతులు కలసినవున్నాయి. ఒంగోలు, కందుకూరు డివిజన్లలో ప్రధానంగా బియ్యం ఆహారం తీసుకోగా, మార్కాపూర్ డివిజన్లో రాగి, మొక్కజొన్న మరియు బియ్యం ఆహారంగావాడుతారు. ఈ జిల్లా తీరంలో వున్న మత్స్యకారుల సంస్కృతి ఈ జిల్లాకు వైవిధ్యాన్ని పెంచుతుంది. ఈ జిల్లా తెలుగు మాండలికం, బాగా ఎక్కువగా అర్థమయ్యే తెలుగు మాండలికాల్లో 2 వది.
పశుపక్ష్యాదులు
ఒంగోలు గిత్త ప్రపంచ ప్రసిద్ధి గాంచింది. అమెరికా, హాలండ్. మలేషియా, బ్రెజిల్, అర్జెంటీనా లాంటి చాలా దేశాలకు ఎగుమతి చేయబడింది. మలేషియాలో ఒక ద్వీపం ఒంగోలు ద్వీపంగా పేరుపెట్టారు. ఈ జాతి పశువులు ప్రపంచంలో లక్షలలో వుంటాయి . 2002 భారత జాతీయ పోటీల చిహ్నం ఐన వీర1 ఒంగోలు గిత్త. పొట్టి కొమ్మల ఒంగోలు జాతి గిత్తలు, నంది శిల్పాలలాగా వుంటాయి.
విద్యాసంస్థలు
ఒంగోలు ప్రాంతంలో బాలికలకు ప్రత్యేకంగా పాఠశాలలు లేని కాలంలో మొదటిసారిగా 1867లో అమెరికన్ బాప్టిష్ట్ మిషన్ కు చెందిన డాక్టరి క్లైవ్, శ్రీమతి క్లైవ్లు ఒక బాలికల పాఠశాలను 1867లో స్థాపించుటయే గాక, ఒక లోయర్ గ్రేడ్ ట్రైనింగ్ స్కూలు కూడా 1892లో స్థాపించారు.
2001 నాటికి 57.86 శాతం అక్షరాస్యత నమోదైంది. 2010 మార్చి ఇంటర్ ద్వితీయ పరీక్షలో19742 సాధారణ విద్యార్థులు హాజరు కాగా, 11967 మంది అనగా 61శాతం ఉత్తీర్ణత సాధించారు. ఇది గత సంవత్సరంతో పోల్చితే తేడా లేదు. విద్యశాలలకు సంబంధించిన గణాంకాలు క్రింది పట్టికలో చూడండి. ఇవేకాకబోధనా, సార్వత్రిక విద్య, కంప్యూటర్ విషయాలకు సంబంధించి శిక్షణా సంస్థలు కూడా ఉన్నాయి.
ఆకర్షణలు
చీరాల (ఓడరేవు),
మార్కాపురం చెన్నకేశవస్వామి దేవాలయము,
కొమ్మినేనివారి పాలెం దేవాలయము,
కంభం చెరువు,
సింగరకొండ ప్రసన్నాంజనేయస్వామి మరియు లక్ష్మినృసింహ స్వామివార్ల దేవాలయాలు,
భవనాసి చెరువు,
త్రిపురాంతకంలోని త్రిపురాంతకేశ్వరుని ఆలయం,
మణికేశ్వరం లోని మండూకేశ్వరస్వామి ఆలయం,
భార్గవకొండలో దుర్గాభైరవస్వాముల ఆలయం మరియు
మాలకొండలో మాల్యాద్రి లక్ష్మీనరసింహస్వామి ఆలయం ప్రముఖ పర్యాటక కేంద్రాలు.
మల్లవరం (మద్దిపాడు మండలం)లోని శ్రీ వేంకటేశ్వరస్వామివారి ఆలయం, గుండ్లకమ్మ రిజర్వాయరు ప్రాజెక్టు.
పాకాల (సింగరాయకొండ) సముద్రతీరప్రాంతంలో ప్రతి వారములో సందర్శించే పర్యాటకస్థలంగా పేరు పొందింది.[18]
పావులూరు పొలిమేర శ్రీ వీరాంజనేయస్వామివారి ఆలయం.
వైద్యం
9 అల్లోపతి వైద్యశాలలు, 46 డిస్పెన్సరీలు, 90 అయుర్వేద వైద్యశాలలు, 1 యునాని వైద్యశాల ఉన్నాయి.
సహకార సంఘాలు
2,62,000 మంది సభ్యులతో జిల్లాలో 1275 సహకార సంఘాలున్నాయి. వీటిలో 1086 సాధారణ, 69 చేనేత,68 పారిశ్రామిక, 31 మత్స్యకార, 21 పాలసరఫరా సహకార సంఘాలు.
క్రీడలు
జిల్లాలో ఎండాకాలంలోపలు చోట్ల ఎడ్ల బలప్రదర్శన నిర్వహిస్తారు . జిల్లా నలుమూలలనుండి రైతుల పాల్గొంటారు.
ప్రముఖవ్యక్తులు
ఆంధ్రకేసరి బిరుదాంకితులు ఆంధ్ర రాష్ట్ర ప్రథమ ముఖ్యమంత్రి స్వాతంత్ర్య సమరయోధుడు టంగుటూరి ప్రకాశం పంతులు, కమ్యూనిస్టు నాయకుడు పూల సుబ్బయ్య. శాసనసభ స్పీకర్ దివికొండయ్య,పిడతల రంగారెడ్డి ప్రపంచ ప్రఖ్యాత ఇంజినీర్ మోక్షగుండం విశ్వేశ్వరయ్య పూర్వీకులు ఈ జిల్లావారే. సంగీత ప్రపంచంలో పేరుగాంచిన వారిలో త్యాగరాజు, శ్రీరంగం ఆలయంలో ఆస్థాన నాదస్వర విద్వాంసుడుగా పనిచేసిన షేక్ చినమౌలానా . సినీరంగంలో ప్రముఖులు దగ్గుబాటి రామానాయుడు అత్యధిక చలన చిత్రాలు నిర్మించిన నిర్మాతగా పేరుతెచ్చుకున్నాడు. ఇంకా గిరిబాబు,రఘుబాబు గోపిచంద్, టి.కృష్ణ
బయటి లింకులు
మూలాలు
వర్గం:ఆంధ్ర ప్రదేశ్ జిల్లాలు
వర్గం:కోస్తా | https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%AA%E0%B1%8D%E0%B0%B0%E0%B0%95%E0%B0%BE%E0%B0%B6%E0%B0%82%20%E0%B0%9C%E0%B0%BF%E0%B0%B2%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B0%BE |
{
"plaintext_start_byte": [
0,
946,
1612,
2307,
2496,
3190,
3466,
3720,
4556,
5000,
5883,
6743,
6933
],
"plaintext_end_byte": [
832,
1528,
2305,
2400,
3090,
3465,
3621,
4365,
4909,
5790,
6742,
6869,
7013
]
} | বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলটির প্রশিক্ষক কে ? | ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} | ভারতের জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক তালিকায় ব্যক্তি, নারী ও যুব ক্রিকেটের সর্ব ভারতীয় অধিনায়ক রয়েছে। ৩১ মে, ১৯২৬ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল, ভারত পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৩২ সালের ২৫ জুন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ডের পর ভারত ছয় নম্বর টেস্ট দেশ হিসেবে পরিণত হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
টেস্ট ম্যাচ অধিনায়ক
৩৩ জন ক্রিকেটারের তালিকা যা কমপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি হল সবচেয়ে সফল ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক, ২৭টি জয়ী। ২৭ নভেম্বর ২০১৭তারিখের ফলাফলের তালিকা সম্পূর্ণ
একদিনের আন্তর্জাতিক অধিনায়ক
এটি ক্রিকেটারদের একটি তালিকা যা কমপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক একদিনের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছে। মোট ২৩ টি ওয়ানডে তে অধিনায়ক যার মধ্যে মহেন্দ্র সিং ধোনি সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ১১০ জয়ী। ৭৪ ম্যাচে তিনি সর্বোচ্চ হারের রেকর্ডও পান।
Source:. সর্বশেষ আপডেট:১০ডিসেম্বর ২০১৭।
টুয়েন্টি -২০ আন্তর্জাতিক অধিনায়ক
এই ক্রিকেটারদের একটি তালিকা যা কমপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল জন্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের নেতৃত্বাধীন। ভারতের জন্য টি ২০ আই শুধুমাত্র অধিনায়ক পাঁচ খেলোয়াড়। যেহেতু ৪১ টি জয় দিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি সবচেয়ে সফল।
মহিলা ক্রিকেটে
টেস্ট ম্যাচ অধিনায়ক
একজন ক্রিকেটারের তালিকা যা কমপক্ষে একজন মহিলা টেস্টের জন্য ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে অধিনায়ক করেছে।
ফলাফলের সারণি ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ হিসাবে আপডেট করা হয়েছে।
মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিক অধিনায়ক
এই ক্রিকেটারদের একটি তালিকা যা কমপক্ষে একটি মহিলা একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ২০০৪/৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলায় মহিলা বিশ্বকাপে ভারতের সেরা পারফরম্যান্সের প্রতিনিধিত্ব করে।
ভারতীয় মহিলা ওডিআই অধিনায়ক
মহিলা টুয়েন্টি ২০ আন্তর্জাতিক অধিনায়ক
এটি এমন একটি তালিকা যা ক্রিকেটাররা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে কমপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ২০ আন্তর্জাতিক দল হিসেবে অধিনায়ক করেছেন।[16]
যুব ক্রিকেট
টেস্ট ম্যাচ অধিনায়ক
এটি এমন একটি তালিকা যা ভারতীয় ক্রিকেট দলের আন্ডার-১৯ অধিনায়ক, কমপক্ষে ১৯ টি টেস্ট ম্যাচের জন্য দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। আন্ডার -১৯ ক্রিকেটের প্রকৃত অর্থ এই যে, কোনও যুবক এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দলের অধিনায়কত্ব করেন। শ্রীকান্ত, শাস্ত্রী, দ্রাবিড় এবং বিরাট এই চারজন সিনিয়র দলের অধিনায়ক হয়েছেন।
যুব একদিনের আন্তর্জাতিক অধিনায়ক
এটি এমন একটি তালিকা যা ভারতীয় আন্ডার-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, আন্ডার-১৯ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারতের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ১৯৯৯-২০০০ সালে মোহাম্মদ কাইফের অধিনায়কত্বের অধীনে আন্ডার-১৯ বিশ্বকাপ জেতেন। ২০০৮/৯ ও ২০১২সালে বিরাট কোহলি এবং উম্মুক চাদ অধিনায়কত্বের অধীনে এই কৃতিত্বের পুনরাবৃত্তি হয়।
১৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখের ফলাফলের তালিকা সম্পূর্ণ।
তথ্যসূত্র
বহি:সংযোগ
*
জাতীয়
ভারতীয় অধিনায়ক
ভারত
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%20%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC%20%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%20%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
1975,
4667,
6000,
9044,
11118,
11990,
13786,
14607,
15449,
16795,
20216,
21831,
26421,
28459,
30551,
32154,
34407,
35550,
37759,
40462,
41617,
43489,
44783,
46735,
47233,
48970,
51294,
52903,
56567,
57677,
59467,
61035,
61971,
64953,
67105,
69297,
71554,
72277,
73761,
75280,
77148,
78431,
79128,
79393,
80234,
81204,
83749,
86198,
88119,
89693,
90294,
91976,
93467,
95051,
96402,
97597,
98944,
99645,
101884,
103396,
104257,
104932,
106062,
107677,
108934,
111738,
112303,
113987,
115243,
116599,
117923,
119213,
120556,
121264,
121990,
124386,
126479,
129309,
130988,
132432
],
"plaintext_end_byte": [
1974,
4666,
5999,
9043,
11117,
11939,
13785,
14606,
15448,
16690,
20165,
21770,
26386,
28458,
30422,
32027,
34297,
35549,
37742,
40461,
41535,
43488,
44650,
46662,
47169,
48969,
51293,
52902,
56566,
57619,
59425,
61034,
61970,
64923,
67104,
69270,
71528,
72276,
73760,
75279,
77146,
78430,
79127,
79392,
80233,
81127,
83748,
86197,
88118,
89692,
90250,
91943,
93419,
95050,
96400,
97596,
98885,
99628,
101883,
103395,
104256,
104912,
106061,
107676,
108933,
111737,
112302,
113948,
115242,
116550,
117875,
119143,
120527,
121247,
121976,
124360,
126478,
129308,
130960,
132268,
133133
]
} | ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আর্থিক সমৃদ্ধির হার কত ছিল ? | বাংলাদেশ | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
বাংলাদেশ () দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, পূর্ব সীমান্তে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মায়ানমারের চিন ও রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণ উপকূলের দিকে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।[1] বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভৌগোলিকভাবে একটি উর্বর ব-দ্বীপের অংশ বিশেষ। পার্শ্ববর্তী দেশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা-সহ বাংলাদেশ একটি ভৌগোলিকভাবে জাতিগত ও ভাষাগত "বঙ্গ" অঞ্চলটির অর্থ পূর্ণ করে। "বঙ্গ" ভূখণ্ডের পূর্বাংশ পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পৃথিবীতে যে ক'টি রাষ্ট্র জাতিরাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পায় তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশের বর্তমান সীমান্ত তৈরি হয়েছিল ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাবসানে, বঙ্গ (বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) এবং ব্রিটিশ ভারত বিভাজন করা হয়েছিল। বিভাজনের পরে বর্তমান বাংলাদেশের অঞ্চল তখন পূর্ব বাংলা নামে পরিচিত ছিল, যেটি নবগঠিত দেশ পাকিস্তানের পূর্ব অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। পাকিস্তান অধিরাজ্যে থাকাকালীন ‘পূর্ব বাংলা’ থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এ নামটি পরিবর্তিত করা হয়েছিল। শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় ঘটেছে দুর্ভিক্ষ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ; এছাড়াও প্রলম্বিত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও পুনঃপৌনিক সামরিক অভ্যুত্থান এদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বারংবার ব্যাহত করেছে। গণসংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে যার ধারাবাহিকতা আজ পর্যন্ত। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত দুই দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতি ও সমৃদ্ধি সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম যদিও আয়তনের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৪তম; ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর নবম। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রায়তনের দেশটির প্রাক্কলিত (২০১৮) জনসংখ্যা ১৮ কোটির বেশি অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে জনবসতি ২৮৮৯ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১১৫ জন)। রাজধানী ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ১.৪৪ কোটি এবং ঢাকা মহানগরীর জনঘনত্ব প্রতি বর্গমা্গইলে ১৯,৪৪৭ জন।[2] দেশের জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা; সাক্ষরতার হার ৭২ শতাংশ।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে চলতি বাজারমূল্যে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ ছিল ২৬১.২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৃদ্ধি লাভ করে ২৮৫.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নীত হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।[3] ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় বার্ষিক আয় ছিল ১ হাজার ৭৫২ ডলার। সরকার প্রাক্কলন করেছে যে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১ হাজার ৯৫৬ ডলার বা ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৯২ টাকা।[4] দারিদ্রের হার ২৬.২০ শতাংশ, অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ১১.৯০ শতাংশ, এবং বার্ষিক দারিদ্র হ্রাসের হার ১.৫ শতাংশ। এই উন্নয়নশীল দেশটি প্রায় দুই দশক যাবৎ বার্ষিক ৫ থেকে ৬.২ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অর্জনপূর্বক "পরবর্তী একাদশ" অর্থনীতিসমূহের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য শহরের পরিবর্ধন বাংলাদেশের এই উন্নতির চালিকাশক্তিরূপে কাজ করছে। এর কেন্দ্রবিন্দুতে কাজ করেছে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ত্বরিত বিকাশ এবং একটি সক্ষম ও সক্রিয় উদ্যোক্তা শ্রেণীর আর্বিভাব। বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী তৈরি পোশাক শিল্প সারা বিশ্বে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। জনশক্তি রপ্তানীও দেশটির অন্যতম অর্থনৈতিক স্তম্ভ। বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন এই যে ২০১৮-২০ এই দুই অর্থ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতি বছর গড়ে ৬.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি লাভ করবে।[5]
গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের উর্বর অববাহিকায় অবস্থিত এই দেশটিতে প্রায় প্রতি বছর মৌসুমী বন্যা হয়; আর ঘূর্ণিঝড়ও খুব সাধারণ ঘটনা। নিম্ন আয়ের এই দেশটির প্রধান সমস্যা পরিব্যাপ্ত দারিদ্র গত দুই দশকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুত, জন্ম নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অর্জিত হয়েছে অভূতপূর্ব সফলতা। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।[6], তবে বাংলাদেশে এখনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে যার মধ্যে রয়েছে পরিব্যাপ্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে তলিয়ে যাবার শঙ্কা। তাছাড়া একটি সর্বগ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার রূপ নিয়ে নতুন ভাবে সামাজিক বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা ও বিমসটেক-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া দেশটি জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্ব শুল্ক সংস্থা, কমনওয়েলথ অফ নেশনস, উন্নয়নশীল ৮টি দেশ, জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন, ওআইসি, ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংঘের সক্রিয় সদস্য।
শব্দের ব্যুৎপত্তি
বাংলাদেশ শব্দটি খুঁজে পাওয়া যায় ২০শ শতাব্দীর শুরুর দিকে, যখন থেকে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত "নম নম নম বাংলাদেশ মম" ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত "আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে" এর ন্যায় দেশাত্মবোধক গানগুলোর মাধ্যমে সাধারণ পরিভাষা হিসেবে শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়।[7] অতীতে বাংলাদেশ শব্দটিকে দুটি আলাদা শব্দ হিসেবে বাংলা দেশ আকারে লেখা হত। ১৯৫০ দশকের শুরুতে, বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদীরা শব্দটিকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল ও সভা-সমাবেশে ব্যবহার করেছে। বাংলা শব্দটি বঙ্গ এলাকা ও বাংলা এলাকা উভয়ের জন্যই একটি প্রধান নাম। শব্দটির প্রাচীনতম ব্যবহার পাওয়া যায় ৮০৫খ্রিস্টাব্দের নেসারি ফলকে। এছাড়াও ১১-শতকের দক্ষিণ-এশীয় পাণ্ডুলিপিসমূহে ভাংলাদেসা পরিভাষাটি খুঁজে পাওয়া যায়।[8][9]
১৪শ শতাব্দিতে বাংলা সালতানাতের সময়কালে পরিভাষাটি দাপ্তরিক মর্যাদা লাভ করে।[10][11] ১৩৪২ সালে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার প্রথম শাহ হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন।[10] উক্ত অঞ্চলকে বোঝাতে বাংলা শব্দটির সর্বাধিক ব্যবহার শুরু হয় ইসলামী শাসনামলে। ১৬শ শতাব্দীতে পর্তুগিজরা অঞ্চলটিকে বাঙ্গালা নামে উল্লেখ শুরু করে।[12]
বাংলা বা বেঙ্গল শব্দগুলোর আদি উৎস অজ্ঞাত; ধারণা করা হয় আধুনিক এ নামটি বাংলার সুলতানি আমলের বাঙ্গালা শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়। কিন্তু কিছু ঐতিহাসিক ধারণা করেন যে, শব্দটি বং অথবা বাং নামক একটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী উপজাতি বা গোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বং জাতিগোষ্ঠী ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন।[13]
অন্য তত্ত্ব অনুযায়ী শব্দটির উৎপত্তি ভাঙ্গা (বঙ্গ) শব্দ থেকে হয়েছে, যেটি অস্ট্রীয় শব্দ "বঙ্গা" থেকে এসেছিল, অর্থাৎ অংশুমালী।[14] শব্দটি ভাঙ্গা এবং অন্য শব্দ যে বঙ্গ কথাটি অভিহিত করতে জল্পিত (যেমন অঙ্গ) প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়, যেমনঃ বেদ, জৈন গ্রন্থে, মহাভারত এবং পুরাণে। "ভাঙ্গালাদেসা/ ভাঙ্গাদেসাম" (বঙ্গাল/বঙ্গল)-এর সবচেয়ে পুরনো উল্লেখ রাষ্ট্রকূট গোবিন্দ ৩-এর নেসারি প্লেট্সে উদ্দিষ্ট (৮০৫ খ্রিস্ট-আগে), যেখানে ভাঙ্গালার রাজা ধর্মপালের বৃত্তান্ত লেখা আছে।[15]
ইতিহাস
প্রাথমিক ও মধ্যযুগীয় সময়কাল
২০০৬ খ্রিস্টাব্দে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশ অঞ্চলে জনবসতি গড়ে উঠেছিলো প্রায় ৪ হাজার বছর পূর্বে। ধারণা করা হয় দ্রাবিড় ও তিব্বতীয়-বর্মী জনগোষ্ঠী এখানে সেসময় বসতি স্থাপন করেছিল। পরবর্তীতে এই অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে। আর্য জাতির আগমনের পর খ্রিস্টীয় চতুর্থ হতে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্ত রাজবংশ বাংলা শাসন করেছিল। এর ঠিক পরেই শশাঙ্ক নামের একজন স্থানীয় রাজা স্বল্প সময়ের জন্য এ এলাকার ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন। প্রায় একশ বছরের অরাজকতার (যাকে মাৎসন্যায় পর্ব বলে অভিহিত করা হয়) শেষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজবংশ বাংলার অধিকাংশের অধিকারী হয়, এবং পরবর্তী চারশ বছর ধরে শাসন করে। এর পর হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেন রাজবংশ ক্ষমতায় আসে। দ্বাদশ শতকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রবর্তন ঘটে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সামরিক অভিযান এবং যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে মুসলিম শাসকেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২০৫-১২০৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী নামের একজন তুর্কী বংশোদ্ভূত সেনাপতি রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে সেন রাজবংশের পতন ঘটান। ষোড়শ শতকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে আসার আগে পর্যন্ত বাংলা স্থানীয় সুলতান ও ভূস্বামীদের হাতে শাসিত হয়। মুঘল বিজয়ের পর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় এবং এর নামকরণ হয় জাহাঙ্গীর নগর।
ঔপনিবেশিক সময়কাল
বাংলায় ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের আগমন ঘটে পঞ্চদশ শতকের শেষভাগ থেকে। ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব বাড়তে থাকে। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করে।[16] ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহী বিপ্লবের পর কোম্পানির হাত থেকে বাংলার শাসনভার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন একজন ভাইসরয় প্রশাসন পরিচালনা করতেন।[17] ঔপনিবেশিক শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুবার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এর মধ্যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষে আনুমানিক ৩০ লাখ লোক মারা যায়।[18]
পাকিস্তানের সঙ্গে জোট
১৯০৫ থেকে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যার রাজধানী ছিল ঢাকায়।[19] তবে কলকাতা-কেন্দ্রিক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের চরম বিরোধিতার ফলে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশের দেশভাগের সময় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ধর্ম গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পুনর্বার বাংলা প্রদেশটিকে ভাগ করা হয়। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অংশভুক্ত হয়; অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানের অংশভুক্ত হয়। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে পূর্ববঙ্গের নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়।[20]
১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ভূমিস্বত্ব সংস্কারের মাধ্যমে জমিদার ব্যবস্থা রদ করা হয়।[21] কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত গুরুত্ব সত্ত্বেও পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী পশ্চিম পাকিস্তানীদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে যায়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভাষা আন্দোলন পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈরিতার প্রথম লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পায়।[22] পরবর্তী দশক জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে নেয়া নানা পদক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। এসময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে, এবং দলটি বাঙালি জাতির প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি ৬ দফা আন্দোলনের সূচনা ঘটে যার মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বাধিকার আদায়। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চাপিয়ে আবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়; কিন্তু ঊনসত্তরের তুমুল গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খানের সামরিক জান্তার পতন ঘটে এবং মুজিব মুক্তি পান।
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের ১১ নভেম্বর এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ লোকের মৃত্যু ঘটে। এ সময় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা ও ঔদাসীন্য প্রকট হয়ে ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে টাল-বাহানা করতে থাকে।[23] মুজিবের সাথে গোলটেবিল বৈঠক সফল না-হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান ২৫শে মার্চ গভীর রাতে মুজিবকে গ্রেপ্তার করেন এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের অংশ হিসাবে বাঙালিদের উপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে।[24]
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এই নারকীয় হামলাযজ্ঞে রাতারাতি বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।[25]
সেনাবাহিনী ও তার স্থানীয় দালালদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বুদ্ধিজীবী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। গণহত্যা থেকে নিস্তার পেতে প্রায় ১ কোটি মানুষ দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। (LaPorte[26], p.103) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মোট জীবনহানির সংখ্যার হিসাব কয়েক লাখ হতে শুরু করে ৩০ লাখ পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছে।[27]
দুই থেকে চার লক্ষ নারী পাকিস্তানী সেনাদের দ্বারা ধর্ষিত হয়।
আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁরা ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন। এর প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দিন আহমদ। এই সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় ৯ মাস পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে লড়াই করে। মুক্তিবাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের সহায়তায় ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে। মিত্রবাহিনী প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা’র কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজী ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পন করে। প্রায় ৯০,০০০ পাকিস্তানী সেনা যুদ্ধবন্দী হিসাবে আটক হয়; যাদেরকে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।[28]
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
প্রথম সংসদীয় সময়কাল
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে প্রথমে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু হয় ও শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে দেশব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।[18] ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে শুরুতে মুজিব সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দেশে বাকশাল নামীয় রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট তারিখে সেনাবাহিনীর কিয়দংশ ও স্বীয় দলের কিছু রাজনীতিবিদের ষড়যন্ত্রে সংঘটিত অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হন।[29]
সংসদীয় সময়কাল ও সামরিক অভ্যুত্থান (১৯৭৫-১৯৯১)
পরবর্তী ৩ মাসে একাধিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা-অভ্যুত্থান চলতে থাকে, যার পরিসমাপ্তিতে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ নভেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরায় প্রবর্তন করেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রাম সফরের সময় আরেকটি অভ্যুত্থানে নিহত হন।[29] অতঃপর উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বাংলাদেশের পরবর্তী শাসক জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রক্তপাতবিহীন এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। রাষ্ট্রপতি এরশাদ ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দেশ শাসন করেন। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে তাঁর পতন হয় এবং তিনি ক্ষমতা ত্যাগ করলে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়।[30]
সমসাময়িক সংসদীয় সময়কাল (১৯৯১-বর্তমান)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ হতে ২০০১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেত্রী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দারিদ্র ও দুর্নীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে তার অবস্থান সমুন্নত রেখেছে।
২০০১ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকার গঠন করে এবং খালেদা জিয়া পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর নানা নাটকীয় পালা বদলের মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেন। এই সরকার প্রায় দুই বৎসর ক্ষমতায় থাকে এবং সেনা সমর্থিত সরকার হিসাবে সমালোচিত হয়। তবে ফখরুদ্দিন সরকার ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক মহাজোট সরকার গঠন করে এবং শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক মহাজোট সরকার গঠন করে।
ভূগোল
দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম দুটি নদী - গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র যেখানে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে সেখানেই কালের পরিক্রমায় গড়ে ওঠে পৃথিবীর বৃহত্তম এই ব-দ্বীপ। এই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র মোহনা অঞ্চলে প্রায় ৩০০০ বছর বা তারও পূর্ব থেকে যে জনগোষ্ঠীর বসবাস, তা-ই ইতিহাসের নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে বর্তমানের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশরূপে। ভৌগোলিক বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায়, ভারত ও মিয়ানমারের মাঝখানে। এর ভূখণ্ড ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর, আর পূর্ব সীমান্ত জুড়ে রয়েছে ভারত; পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য; উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় রাজ্য এবং পূর্বে রয়েছে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম। তবে পূর্বে ভারত ছাড়াও মিয়ানমারের (বার্মা) সাথে সীমান্ত রয়েছে; দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশের স্থল সীমান্তরেখার দৈর্ঘ্য ৪,২৪৬ কিলোমিটার যার ৯৪ শতাংশ (৯৪%) ভারতের সাথে এবং বাকি ৬ শতাংশ মিয়ানমারের সাথে। বাংলাদেশের সমুদ্রতটরেখার দৈর্ঘ্য ৫৮০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম অনবচ্ছিন্ন সমূদ্র সৈকতগুলোর অন্যতম।
বাংলাদেশের উচ্চতম স্থান দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মোডক পর্বত, সমুদ্রতল থেকে যার উচ্চতা ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ফুট)।[31] বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের অনেকটা অংশ জুড়ে সুন্দরবন অবস্থিত, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল (টাইগার) বাঘ , চিত্রল হরিণ সহ নানা ধরনের প্রাণীর বাস। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই এলাকাকে বিলুপ্তির সম্মুখীন বলে ঘোষণা দেয়া হয়।[32]
প্রশাসনভিত্তিক ভৌগলিক বিভাজন
বাংলাদেশ ৮টি প্রশাসনিক বিভাগে বিভক্ত।[33] এগুলো হল: ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট এবং রংপুর। প্রতিটি বিভাগে রয়েছে একাধিক জেলা। বাংলাদেশের মোট জেলার সংখ্যা ৬৪টি। জেলার চেয়ে ক্ষুদ্রতর প্রশাসনিক অঞ্চলকে উপজেলা বা থানা বলা হয়। সারাদেশে ৪৯২টি উপজেলা (সর্বশেষ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা) রয়েছে।[34] এই থানাগুলো ৪,৪৮৪টি ইউনিয়নে; ৫৯,৯৯০টি মৌজায় এবং ৮৭,৩১৯টি গ্রামে বিভক্ত। বিভাগ, জেলা ও থানা পর্যায়ের প্রশাসনে কোনো নির্বাচিত কর্মকর্তা নেই; সরকার নিযুক্ত প্রশাসকদের অধীনে এসব অঞ্চল পরিচালিত হয়ে থাকে। ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি রয়েছে। ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যায়ে মহিলাদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়।[35]
এছাড়া শহরাঞ্চলে ১২টি সিটি কর্পোরেশন (ঢাকা-উত্তর, ঢাকা-দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ) এবং ২২৩টি পৌরসভা রয়েছে। এগুলোর সবগুলোতেই জনগণের ভোটে মেয়র ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। রাজধানী ঢাকা বাংলাদেশের বৃহত্তম শহর। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শহরের মধ্যে রয়েছে – চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, রংপুর, যশোর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ,ও ফেনী
Template:বাংলাদেশের বিভাগসমূহ চিত্র মানচিত্র
জলবায়ু
বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে যথা: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। বছরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৫০০-২৫০০মি.মি./৬০-১০০ইঞ্চি; পূর্ব সীমান্তে এই মাত্রা ৩৭৫০ মি.মি./১৫০ইঞ্চির বেশী। বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ২৫° সেলসিয়াস। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। এখানকার আবহাওয়াতে নিরক্ষীয় প্রভাব দেখা যায়। নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, ও জলোচ্ছ্বাস প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশের কোনো না কোনো স্থানে আঘাত হানে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা সমুদ্র সমতল হতে মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সমুদ্র সমতল মাত্র ১ মিটার বৃদ্ধি পেলেই এদেশের ১০% এলাকা নিমজ্জিত হবে বলে ধারণা করা হয়।[37]
রাজনীতি
সরকার ব্যবস্থা
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সর্বমোট ১৬টি সংশোধনী আনা হয়েছে।[38] বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থার সরকার পদ্ধতি প্রচলিত। রাষ্ট্রযন্ত্রের তিনটি শাখা: সংসদ, প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থা। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এক কক্ষবিশিষ্ট। এতে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৩০০ জন সদস্য ছাড়াও নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন আছে। প্রতিটি সংসদের নির্ধারিত মেয়াদকাল ৫ বছর। বাংলাদেশের প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এছাড়াও, জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব সব নাগরিকের ভোটাধিকার রয়েছে।
১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নির্বাচনের পূর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পদ্ধতি চালু হয় যা ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে সংশোধনক্রমে সংবিধানে গৃহীত হয়। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ৯ম জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত নির্বাচনের পূর্বে কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে। এই ব্যবস্থায় সরকারের মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হত। এ সময় সরকারি ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলীর মাধ্যমে। সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে সংবিধানে প্রবিধান রয়েছে। সংসদীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।[38] ২০১১-এ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনপূর্ব নিদর্লীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পদ্ধতি বাতিল করা হয়। আবার, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিদের অভিশংসন প্রথা চালু হয়। প্রধান বিচারপতিদের ইচ্ছে করলে সংসদ অভিশংসন করতে পারবে।
রাষ্ট্রপতি এদেশের আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর সীমিত ক্ষমতা রয়েছে; কেননা কয়েকটি ক্ষেত্র ব্যতীত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে তিনি সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য। তবে সংসদ নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রের মূল ক্ষমতার অধিকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি "সরকার প্রধান" হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই সংসদ সদস্য হতে হয়। মন্ত্রীসভার মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত এবং রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
বাংলাদেশের সরকারি প্রশাসন যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হলো বাংলাদেশ সচিবালয়। রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যাবলী পরিচালনার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিযুক্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী পদমর্যাদায় বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন। উপদেষ্টামণ্ডলী মন্ত্রী সভার বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে সরকার গঠনের পরও প্রধানমন্ত্রীর চার জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন একজন স্থায়ী সচিব। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে ৪১ টি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। বড় মন্ত্রণালয়, যেমন অর্থ মন্ত্রণালয়, একাধিক “বিভাগ”-এ বিভক্ত যা কার্যতঃ মন্ত্রণালয় বটে। প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় সরকারি প্রশাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। মন্ত্রণালয়ের মূল কাজ নীতিমালা প্রণয়ন যা বিভিন্ন সংযুক্ত বিভাগ, সংস্থা, বোর্ড, কমিশন, একাডেমী প্রভৃতির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির জন্য পৃথক কার্যালয় রয়েছে। ২০১১-এর হিসাবে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬৫।, এর বাইরে শূন্যপদ রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। কর্মরতদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ৫২২, দ্বিতীয় শ্রেণীর ৭৩ হাজার ৩২১, তৃতীয় শ্রেণীর ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩১১ এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ জন।[39]
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর দুটি স্তর রয়েছে যথা হাইকোর্ট ডিভিশন (উচ্চ আদালত বিভাগ) ও অ্যাপিলাত ডিভিশন (আপিল বিভাগ)। রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। দেশের আইন-কানুন অনেকটা প্রচলিত ব্রিটিশ আইনের আদলে প্রণীত; তবে বিবাহ এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইনগুলো ধর্মভিত্তিক। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে প্রশাসন থেকে পৃথক করা হয়েছে।
বৈদেশিক সম্পর্কসমূহ
বাংলাদেশের বৈদেশিক বা আন্তর্জাতিক বা পররাষ্ট্রনীতি হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত অপরাপর রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও আচরণের নীতিমালা। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়', এই নীতি অনুসরণ করে বৈদেশিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই বিংশ শতাব্দীর স্নায়ুযুদ্ধে প্রভাবশালী রাষ্ট্রসমূহের পক্ষাবলম্বন থেকে বিরত থেকেছে। একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হওয়ার কারণে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সুদৃঢ় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি, রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী।
পররাষ্ট্র নীতি
বাংলাদেশের জন্মলগ্নে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সুস্পষ্টভাবে জাতিসংঘ সনদের প্রতি বিশ্বস্ততা এবং বিশ্বসম্প্রদায়ভুক্ত একটি জাতি হিসেবে সকল দায়দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সংবিধানে পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতিসমূহ সন্নিবেশিত হয়। সংবিধানের প্রস্তাবনায় “মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন” করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। এরই অনুসৃতিতে সংবিধানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অভিমুখ নির্ধারণ করে ৪টি মূল স্তম্ভ উল্লেখ করা হয়েছে:
জাতীয় সমতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা;
শক্তি প্রয়োগ পরিহার এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ প্রয়াস;
নিজস্ব আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনে প্রত্যেক জাতির অধিকারের স্বীকৃতি এবং;
বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের সমর্থন।
২০১৫ সালের হালনাগাদ হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের ৫৩টি দেশে বাংলাদেশের ৬৯টি মিশন রয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংযুক্ত বিভাগসমূহ, বিশ্বের ৫৩টি দেশে থাকা ৬৯টি দূতাবাস/ মিশনসমূহের মাধ্যমে পররাষ্ট্র বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন আন্তর্জাতিক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেনি; বরং এদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত-সংকুল দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৮০-এর দশক থেকে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে সাংবিধানিক বাধা না-থাকায় একজন বাংলাদেশী দ্বিতীয় একটি দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারেন। কোন প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক উত্তর আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা), অস্ট্রেলিয়া অথবা ইউরোপের কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে সে-দেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির জন্য পঠিতব্য শপথ বাক্যে বা স্বাক্ষরিত কোন দলিলে যদি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহারের শপথ না-থাকে, তাহলে তাঁর বাংলাদেশী নাগরিকত্ব বহাল থাকবে। এক্ষেত্রে বিদেশী নাগরিকত্বধারী প্রবাসী বাংলাদেশী তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশী নাগরিক ইসরায়েল ব্যতীত পৃথিবীর যে-কোন দেশে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন।
সামরিক খাত
২০১২ এর হিসাবে, সেনাবাহিনীর বর্তমান শক্তি ৩০০,০০০ প্রায় রিজার্ভসহ,[40] এবং নৌবাহিনী ১৯,০০০। ২০১৮ সালের হিসাবে বিশ্বের ১৩৩টি দেশের সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তার র্যাঙ্কিং তৈরিকারী এক বৈশ্বিক সুচকে বাংলাদেশ ৫৬ তম স্থান দখল করেছে। সুচকটির শিরোনাম ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০১৮’ । [41] প্রথাগত প্রতিরক্ষা ভূমিকা ছাড়াও, সামরিক বাহিনীকে দুর্যোগ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ত্রাণ ও অভ্যন্তরীণ নাগরিক নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষ ডাক দিতে পারে। বাংলাদেশ বর্তমানে সক্রিয় কোনো চলমান যুদ্ধে নেই, কিন্তু এটি ১৯৯১ সালে অপারেশন মরুভূমি ঝড় ([Operation Desert Storm]error: {{lang-xx}}: text has italic markup (help)) যুদ্ধে ২,৩০০ সৈন্য প্রেরণ করে এবং বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সারা বিশ্বে একটি শীর্ষ অবদানকারী (১০,৭৩৬) শান্তিরক্ষা বাহিনী। মে ২০০৭ সালে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লাইবেরিয়া, সুদান, পূর্ব তিমুর এবং আইভরি কোস্ট এর প্রধান স্থাপনায় ছিল।[42][43]
সরকার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য প্রাগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অস্ত্র ক্রয় করছে। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে সরকার প্রায় ১৫হাজার ১০৪ কোটি টাকা মূল্যের অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় করেছে।[44] বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক আধুনিকায়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে "ফোর্সেস গৌল ২০৩০" শীর্ষক একটি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে চীন থেকে ২টি সাবমেরিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কুতুবদিয়া চ্যানেলে একটি সাবমেরিন পোতাশ্রয় গড়ে তোলা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের Mi-17 হেলিকপ্টার, প্রশিক্ষণ বিমান, ট্যাংক-বিধ্বংসী মিযাইল, আরমার্ড ক্যারিয়ার ক্রয়ের বিশাল অস্ত্র ক্রয় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।[45] চীন ও রাশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ জার্মানী, ফ্রান্স, বেলারুশ, সার্বিয়া, জাপান, ইংল্যান্ড ও ইতালী থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় করে থাকে।
দুর্নীতি
দুর্নীতি হল বাংলাদেশের একটি চলমান সমস্যা, এছাড়াও দেশটি ২০০৫ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় পৃথিবীর তৎকালীন সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে স্থান লাভ করে। ২০১১[46] এবং ২০১২ সালে[47] দেশটি তালিকার অবস্থানে যথাক্রমে ১২০ এবং ১৪৪ তম স্থান লাভ করে, যেখানে কোন দেশ নম্বরের দিক থেকে যত উপরের দিকে যাবে ততই বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ হিসেবে গণ্য হবে। প্রধানত অতিরিক্ত ভোগবাদী মানসিকতা ও নৈতিক মুল্যবোধের অভাব ও অবমুল্যায়ন দুর্নীতির পেছনে দায়ী, পাশাপাশি দরিদ্রতাও ক্ষেত্রবিশেষে দুর্নীতির প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে সব শ্রেণির ব্যাক্তির ঘুষ গ্রহণের নজির রয়েছে। তবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঘুষ গ্রহণের নজির বেশি, যার কারণ স্বল্প সময়ের ব্যাবধানে জীবনযাত্রার মান মধ্যবিত্ত হতে বিলাসবহুল পর্যায়ে উন্নীতকরণের মানসিকতা। এছাড়াও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তগণ তাদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নে ঘুষ গ্রহণ করে।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। জাতিসংঘের শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী এটি একটি স্বল্পোন্নত দেশ। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ১০০০ টাকার আন্তজার্তিক মূল্যমান কমবেশী ১২.৫৯৯২ মার্কিন ডলার (১ মার্কিন ডলার = ৭৯.৩৭ টাকা)[48]। দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ৩১.৯০ বিলিয়ন ডলারের বেশী।[49]
সুইজার্যলান্ডের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইসের বৈশ্বিক সম্পদ প্রতিবেদন ২০১৮ অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৩৩২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সালে বাংলাদেশের মানুষের সম্পদের সর্বমোট মূল্যমান ছিল ৭,৮০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ ছিল ১,১৩৮ মার্কিন ডলার। সম্পদের সর্বমোট মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-এ ২৪,০০০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা ১০,২৭,৯৩,০০০ জন ধরে প্রাক্কলন করা হয়েছে।[50]
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক খানাজরীপ অনুযায়ী সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের আয় দেশের সর্বমোট আয়ের মাত্র ০.২৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করে যে আয়বণ্টনের অসমতা গত এক দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে কেননা ২০০০ সালে দেশের সর্বমোট আয়ে সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের অংশ ছিল ০.৭৮ শতাংশ। একইভাবে দেশের সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ মানুষের আয় ২০০০-এ মোট জাতীয় আয়ের ২৪.৬১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৮৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশের অনতম অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী আয় বণ্টনের অসমতার সূচক জিনি সহগের মান বৃদ্ধি পেয়ে ০.৪৮ এ পৌঁছেছে।[51]
১৯৮০'র দশক থেকে শিল্প ও সেবা খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অদ্যাবধি কৃষিনির্ভর কারণ দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষিজীবী। দেশের প্রধান কৃষিজ ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট এবং চা। দেশে আউশ, আমন, বোরো এবং ইরি ধান উৎপন্ন হয়ে থাকে। পাট, যা বাংলাদেশের ‘সোনালী আঁশ’ নামে পরিচিত, এক সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস ছিলো।[52]
বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অধিকাংশ আসে রফতানিকৃত তৈরি পোশাক থেকে, এবং অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশীরভাগ ব্যয় হয় একই খাতের জন্য কাঁচামাল আমদানীতে।[53] সস্তা শ্রম ও অন্যান্য সুবিধার কারণে ১৯৮০-র দশকের শুরু থেকে এই খাতে যথেষ্ট বৈদেশিক ও স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তৈরী পোশাক রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন কোটি মার্কিন ডলার।[54]
তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন[55], যাদের ৯০%-ই নারী শ্রমিক।[56]
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার আরেকটি বড় অংশ আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থ হতে। পরিবর্তিত হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪৬৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।[57] নানা অর্থনৈতিক সূচকে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থান পিছনের সারিতে, তবে বিশ্ব ব্যাংকের ২০০৫ সালের দেশভিত্তিক আলোচনায় এদেশের শিক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য সামাজিক খাতে উন্নয়নের প্রশংসা করা হয়েছে।
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ গড়ে ৫% থেকে ৬.২% শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এসেছে। মধ্যবিত্ত ও ভোক্তা শ্রেণীর প্রসারণ ঘটেছে দ্রুত। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর বিশ্লেষণে বাংলাদেশকে আগামী ১১ দেশ এর মধ্যে গণ্য করা হয়েছে।[58]
২০১৬-১৭ অর্থবৎসরের প্রাক্কলন অনুযায়ী এবছর প্রায় ৬.৮% জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে।[59]
বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সারা দেশে চালু হওয়া ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা। ১৯৯০ এর দশকের শেষভাগে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ; ব্র্যাকসহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থারও প্রায় ২৫ লাখ সদস্য রয়েছে।[60]
দেশের শিল্প ও রফতানির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (ইপিজেড) স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা বেপজা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। দেশের রফতানি ও আমদানি বাণিজ্যর সিংহভাগ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর, মংলা সমুদ্র বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই বাংলাদেশের প্রাচীনতম যাতায়াত পথ হিসেবে গণ্য করা হয় নৌপথ বা জলপথকে। নৌপথের নদীপথ এবং সমুদ্রপথ উভয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নদীমাতৃক দেশ হিসেবে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থায় নদীপথ গুরুত্বপূর্ণ, তবে বহির্বিশ্বের সাথে যাতায়াত ব্যবস্থায় সমুদ্রপথ ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৮৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ নাব্য জলপথ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০০ কিলোমিটার সারা বছর নৌচলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার শুধু বর্ষাকালে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের নদীগুলো নৌচলাচলের জন্য বেশি উপযোগী। এ অঞ্চলেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরগুলো অবস্থিত: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা প্রভৃতি। নদীপথে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই (৯৪%) নৌকা ও লঞ্চে এবং বাকিরা (৬%) স্টিমারে যাতায়াত করেন। দেশের সমুদ্রপথ মূলত ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের প্রধান দুইটি সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর,মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর একাজে ব্যবহৃত হয়।[61]
বাংলাদেশের স্থল যোগাযোগের মধ্যে সড়কপথ উল্লেখযোগ্য। সড়কপথের অবকাঠামো নির্মাণ এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভৌগোলিক অবকাঠামোর মধ্যে বেশ ব্যয়বহুল। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিলো ১৯৩১.১৭ কিলোমিটার, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালের দিকে তা দাঁড়ায় ১৭৮৮৫৯ কিলোমিটারে।[61] ২০১০ খ্রিস্টাব্দে দেশের জাতীয় মহাসড়ক ৩৪৭৮ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়ক ৪২২২ কিলোমিটার এবং ফিডার/জেলা রোড ১৩২৪৮ কিলোমিটার। দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য "বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন" (বিআরটিসি) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে।[62] সড়কপথে প্রায় সব জেলার সাথে যোগাযোগ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো (ব্রিজ, কালভার্ট) নির্মিত না হওয়ায় ফেরি পারাপারের প্রয়োজন পরে। সড়কপথে জেলাভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় বড় যানবাহন যেমন: ট্রাক, বাস ব্যবহৃত হলেও আঞ্চলিক বা স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাক্সি, সিএনজি, মিনিবাস, ট্রাক ইত্যাদি যান্ত্রিক বাহন ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বহু পুরাতন আমলের অযান্ত্রিক বাহন যেমন: রিকশা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়িও ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া স্থলভাগে রেলপথ সবচেয়ে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা হিসেবে ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশে রেলপথ ছিলো ২৮৫৭ কিলোমিটার।[61] ২০০৮-২০০৯ সালের হিসাবমতে, বাংলাদেশে রেলপথ রয়েছে ২৮৩৫ কিলোমিটার।[62] এদেশে মিটারগেজ এবং ব্রডগেজ-দু'ধরনের রেলপথ রয়েছে।[61] রেলপথ, রেলস্টেশনের দ্বারা পরিচালিত হয়, এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনকে জংশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। রেলপথকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বাংলাদেশকে ট্রান্স এশীয় রেলওয়ে জালের সঙ্গে সংযোজনের জন্য চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ অবধি ১২৮ কিলোমিটার রেলসড়ক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে (২০১৩)। এই রেলসড়ক মিয়ানমারের গুনদুম রেলস্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।[63]
এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে বাংলাদেশে আকাশপথে বা বিমানপথে যাতায়াতের ব্যবস্থাও রয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিমান যাতায়াত ব্যবস্থায় দেশের ভিতরকার বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাতায়াত করা যায়, আর আন্তর্জাতিক বিমান যাতায়াত ব্যবস্থায় শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহির্দেশে গমনাগমন করা যায়।[61] ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কক্সবাজারেও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা হলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত ছিলো ডাক আদান-প্রদানভিত্তিক। কিন্তু কালের আবর্তনে টেলিগ্রাফ, টেলিফোন এবং পরবর্তিতে মোবাইল ফোনের প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সংঘটিত হয়।
মুদ্রাব্যবস্থা
বাংলাদেশে দুই ধরনের মুদ্রাব্যবস্থা প্রচলিত আছে, ধাতব মুদ্রা ও কাগুজে নোট। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেডের (SPCBL) অধিনে (শিমুলতলী, গাজীপুর) কাগুজে নোট গুলো মুদ্রিত হয়। নোট গুলো প্রচলন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১০ টাকার নোট SPCBL কর্তৃক মুদ্রিত প্রথম নোট। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেড, বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান। ১ টাকা এবং ১০০ টাকার নোট এ দেশে প্রথম মুদ্রিত নোট। বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও মুদ্রার নকশাকার কে জি মুস্তফা। বর্তমানে নয়টি(৯) কাগুজে নোট এবং তিনটি(৩) ধাতব মুদ্রা চালু আছে।
পর্যটন খাত
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের যোগাযোগ ও পর্যটন খাত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। আগস্ট, ১৯৭৫ সালে পৃথক একটি মন্ত্রণালয় হিসেবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা হয়। জানুয়ারি, ১৯৭৬ সালে এটি পুণরায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিভাগে পরিণত হয়। ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে পৃথকভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় খোলা হয়। ২৪ মার্চ, ১৯৮২ সালে এ মন্ত্রণালয়কে বিলুপ্ত করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাস্ত করা হয়। এরপর ১৯৮৬ সাল থেকে উক্ত মন্ত্রণালয়কে পুণঃপ্রতিষ্ঠা অদ্যাবধি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।[64]
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।[65][66][67]
এই আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ।[65][67] সরকারি সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি।[68] অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটি। এই হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশী।[69][70]
২০১১-এর আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০৩।[65][71] জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ। এখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)। দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সী: যেখানে ০–২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশ। এদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৭১.৫ বছর।[72]
জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি।[73] বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিভিন্ন উপজাতি এবং বিহারী বংশোদ্ভূত। দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা ও মারমা উপজাতি প্রধান। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো ও সাঁওতাল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী।
সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫)। সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় বর্তমানে ১ হাজার ৫শ মার্কিন ডলারের বেশি। [74] আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা।[75] ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।
প্রধান শহরাঞ্চল
ভাষা
দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা। সরকারি, বেসকারি ও ব্যবসায়ীক কাজ-কর্মে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি কর্মকাণ্ডে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ধর্ম
জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম ধর্মে (৮৬.৬ শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২.১ শতাংশ), বৌদ্ধ ধর্ম (০.৬ শতাংশ), খ্রিস্ট ধর্ম (০.৪ শতাংশ), এবং অন্যান্য (০.৩ শতাংশ)।[78] মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাদর্শী। ইসলাম হল বাংলাদেশের বৃহত্তম ও দাপ্তরিক রাষ্ট্রধর্ম, যা হল মোট জনসংখ্যার ৮৬.৬ শতাংশ।[77] দেশটি অধিকাংশ বাঙ্গালি মুসলিমের আবাসস্থল, যা মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। অধিকাংশ বাংলাদেশি মুসলিম হল সুন্নি, এরপর রয়েছে শিয়া ও আহ্মাদিয়া। এর প্রায় চার শতাংশ হল উপাধিবিহীন মুসলিম।[79] বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বের চতূর্থ-বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা এবং দেশটি হল ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম মুসলিম-সংখ্যাধিক্যের দেশ।[80]এই অঞ্চলে সুফিবাদের সুদীর্ঘ পরম্পরা রয়েছে।[81] বাংলাদেশে মুসলিমদের বৃহত্তম সমাবেশ হয় তাবলীগ জামাআত আয়োজিত বার্ষিক বিশ্ব ইজতেমায়, যা হজ্জের পর মুসলিম বিশ্বে দ্বিতীয়-বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত।
হিন্দুধর্ম হল জনসংখ্যার দিক থেকে মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ;[77] এদের অধিকাংশ বাঙ্গালি হিন্দু, এবং কিছু অংশ হল সংখ্যালঘু নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশি হিন্দুগণ হল নেপাল ও ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম হিন্দুধর্মীয় সম্প্রদায়। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী সমভাবে ও বহুলভাবে বিস্তৃত, যারা আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর,সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম পাহড়ি এলাকায় সংখ্যাধিক। জনসংখ্যার দিক থেকে ক্রমশ হ্রাসপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও, হিন্দু সম্প্রদায় হল মুসলিমদের পর ঢাকার দ্বিতীয়-বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়।
বৌদ্ধধর্ম হল দেশটির তৃতীয়-বৃহত্তম ধর্ম, শতাংশের দিক থেকে ০.৬ শতাংশ। আবাসিক ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশি বৌদ্ধগণ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী গোষ্ঠীদের (বিশেষত চাকমা, মারমা ও তেঞ্চাঙ্ঘা জনগোষ্ঠী)মধ্যে অধিক ও উপকূলীয় চট্টগ্রামে ব্যাপকসংখ্যক বৌদ্ধ বাস করে। খ্রিস্টধর্ম হল দেশের চতূর্থ-বৃহত্তম ধর্ম, সংখ্যায় ০.৪ শতাংশ।[82]
বাংলাদেশের সংবিধান ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। এতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও সকল ধর্মের মানুষের সমান স্বীকৃতি নিশ্চিত করে।[83] ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ হল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সাংবিধানিক-ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।[84]
শিক্ষা
বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার ক্রমবর্ধমান। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষার হার ছিল ৬৫ শতাংশ। ২০১৬ তে তা আরো বৃদ্ধি লাভ করে ৭২.৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ। ২০০৭ এর তুলনায় সাক্ষরতার হার ২৬.১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালে সাক্ষর নারী ছিল জনসংখ্যার ৫২.২ শতাংশ এবং পুরুষ ৬১.৩ শতাংশ। ২০১৬ তে সাক্ষর নারীর হার ৬৯.৯০ শতাংশে এবং সাক্ষর পুরুষের হার ৭৫.৬২ শতাংশে উন্নীত হয়।[85]
বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থা তিন সারির এবং বহুলাংশে ভর্তুকিপুষ্ট। বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বহু বিদ্যালয়ের পরিচালনা ব্যয় সর্বাংশে বহন করে। সরকার অনেক ব্যাক্তিগত স্কুলের জন্য অর্থায়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা খাতে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে ১৫ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থায়ন দিয়ে থাকে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসছে। শিক্ষা বৎসরের প্রথম দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন ক্লাশের বই তুলে দেয়ার ঐতিহ্য প্রবর্তিত হয়েছে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তিন পদ্ধতি প্রচলিত। প্রথমত সাধারণ পদ্ধতির স্কুলগুলোতে সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসৃত হয়। এসব স্কুলে শিক্ষাপ্রদানের ভাষা বাংলা। দ্বিতীয়ত রয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এগুলোতে পশ্চিমা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত সংখ্যক হলেও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলগুলো প্রসিদ্ধ। তৃতীয়ত রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা। শেষোক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা। তবে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, ব্যবসায় ইত্যাদি সকল বিষয়ও পাঠ্য।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় । বাংলাদেশে ৩৭টি সরকারি, ৮৩টি বেসরকারি এবং দুটো আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থির সংখ্যা বিবেচনায় বৃহত্তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত) প্রাচীনতম। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি আন্তর্জাতিক সংস্থা ওআইসি-র একটি অঙ্গসংগঠন, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকা উপমহাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এশিয়ার ১৪টি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ফ্যাকাল্টির সদস্যবৃন্দ এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি স্থানের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন।[86] বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স এবং ডুয়েট দেশের ছ'টি সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিও এখানে রয়েছে, তাদের মধ্যে শাবিপ্রবি, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, নোবিপ্রবি, পবিপ্রবি উল্লেখযোগ্য।এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ শুরু হয়। এর ফলে ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হতে শুরু করে। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ বাংলাদেশে ব্যক্তিখাতে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮।[87]
২০০৫ খ্রিস্টাব্দের হিসাবে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৪১ শতাংশ।[88] ইউনিসেফের ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের হিসাবে পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫০ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশ।[89] তবে সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।[90] দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে।[91] ২০১৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭২.৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য খাত
দারিদ্রপীড়িত বাংলাদেশে অপুষ্টি একটি দুরূগ সমস্যা যা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে। অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসেবে পরিচিত শিশুরা বিশ্ব ব্যাংকের জরীপে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে যা মোটেই কাঙ্খিত নয়।[92][93] মোট জনগোষ্ঠীর ২৬% অপুষ্টিতে ভুগছে।[94]
৪৬% শিশু মাঝারি থেকে গভীরতর পর্যায়ে ওজনজনিত সমস্যায় ভুগছে।[95] ৫ বছর বয়সের পূর্বেই ৪৩% শিশু মারা যায়। প্রতি পাঁচ শিশুর একজন ভিটামিন এ এবং প্রতি দু'জনের একজন রক্তস্বল্পতাজনিত রোগে ভুগছে।[96]
তবে গত দুই শতকে মানুষের খাদ্যগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে (২০১৩: ২০৪০ গ্রাম দৈনিক) এবং সুষম খাদ্যাভাস গড়ে উঠেছে যার ফলস্বরূপ অকাল মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে এবং জনগণের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৬ বৎসরে (২০১৬ খ্রি:) উন্নীত হয়েছে।[97] বহু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং ১৩ হাজার কমিউনিটি হাসাপাতালে মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান অনেকাংশে উন্নীত হয়েছে। জন্মকালে শিশু মৃত্যু হার (২০১৩: হাজারে ৫৩ জন) ও মাতৃমৃত্যুর হার (২০১৩: হাজারে ১৪৩ জন) উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে।[98]
সংস্কৃতি
সাহিত্য
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ঐতিহ্য হাজার বছরের বেশি পুরনো। ৭ম শতাব্দীতে লেখা বৌদ্ধ দোহার সঙ্কলন চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। মধ্যযুগে বাংলা ভাষায় কাব্য, লোকগীতি ও পালাগানের প্রচলন ঘটে। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে বাংলা কাব্য ও গদ্যসাহিত্যের ব্যাপক বিকাশ ঘটে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ বাংলা ভাষায় সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলার লোক সাহিত্যও সমৃদ্ধ; মৈমনসিংহ গীতিকায় এর পরিচয় পাওয়া যায়।
পরিবেশন শিল্পকলা
নৃত্যশিল্পের নানা ধরন বাংলাদেশে প্রচলিত। এর মধ্যে রয়েছে উপজাতীয় নৃত্য, লোকজ নৃত্য, শাস্ত্রীয় নৃত্য ইত্যাদি। দেশের গ্রামাঞ্চলে যাত্রা পালার প্রচলন রয়েছে। বাংলাদেশের সংগীত বাণীপ্রধান; এখানে যন্ত্রসংগীতের ভূমিকা সামান্য। গ্রাম বাংলার লোক সঙ্গীতের মধ্যে বাউল গান, জারি, সারি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, গম্ভীরা, কবিগান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। গ্রামাঞ্চলের এই লোকসঙ্গীতের সাথে বাদ্যযন্ত্র হিসাবে মূলত একতারা, দোতারা, ঢোল, বাঁশি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
প্রচারমাধ্যম ও চলচ্চিত্র
বাংলাদেশে মোট প্রায় ২০০টি দৈনিক সংবাদপত্র ও ১৮০০রও বেশি সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তবে নিয়মিতভাবে পত্রিকা পড়েন এরকম লোকের সংখ্যা কম, মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫%। গণমাধ্যমের মধ্যে রেডিও অঙ্গনে বাংলাদেশ বেতার ও বিবিসি বাংলা জনপ্রিয়। সরকারি টেলিভিশন সংস্থা বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ১০টির বেশি উপগ্রহভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ও ৫টির বেশি রেডিও সম্প্রচারিত হয়। ঢাকা-কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র শিল্প হতে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হতে ১০০টি বাংলা চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়।
রন্ধনশৈলী
বাংলাদেশের রান্না-বান্নার ঐতিহ্যের সাথে ভারতীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের রান্নার প্রভাব রয়েছে। ভাত, ডাল ও মাছ বাংলাদেশীদের প্রধান খাবার, যেজন্য বলা হয়ে থাকে মাছে ভাতে বাঙালি। দেশে ছানা ও অন্যান্য প্রকারের মিষ্টান্ন, যেমন রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ, কালোজাম বেশ জনপ্রিয়।
পোশাক
বাংলাদেশের নারীদের প্রধান পোষাক শাড়ি। অল্পবয়স্ক মেয়েদের মধ্যে, বিশেষত শহরাঞ্চলে সালোয়ার কামিজেরও প্রচলন রয়েছে। পুরুষদের প্রধান পোষাক লুঙ্গি, তবে শহরাঞ্চলে পাশ্চাত্যের পোষাক শার্ট-প্যান্ট প্রচলিত। বিশেষ অনুষ্ঠানে পুরুষরা পাঞ্জাবী-পায়জামা পরিধান করে থাকেন।
উৎসব
এখানকার প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মুসলমান সম্প্রদায়ের উৎসব ঈদুল ফিত্র , ঈদুল আজহা ও মিলাদুন্নবী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা। বৌদ্ধদের প্রধান উত্সব বুদ্ধ পূর্ণিমা, আর খ্রীস্টানদের বড়দিন। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব হচ্ছে দুই ঈদ, অর্থাৎ ঈদুল ফিত্র ও ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতরের আগের দিনটি বাংলাদেশে ‘চাঁদ রাত’ নামে পরিচিত। ছোট ছোট বাচ্চারা এ দিনটি অনেক সময়ই আতশবাজির মাধ্যমে পটকা ফাটিয়ে উদযাপন করে। ঈদুল আজহার সময় শহরাঞ্চলে প্রচুর কোরবানির পশুর আগমন হয়, এবং এটি নিয়ে শিশুদের মাঝে একটি উৎসবমুখর উচ্ছাস থাকে। এই দুই ঈদেই বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা ছেড়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ তাঁদের জন্মস্থল গ্রামে পাড়ি জমায়। এছাড়া বাংলাদেশের সর্বজনীন উত্সবের মধ্যে পহেলা বৈশাখ প্রধান। গ্রামাঞ্চলে নবান্ন, পৌষ পার্বণ ইত্যাদি লোকজ উত্সবের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে শহীদ দিবস পালিত হয়।
খেলাধূলা
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু বা কাবাডি। এই খেলার মতোই বাংলাদেশের অধিকাংশ নিজস্ব খেলাই উপকরণহীন কিংবা উপকরণের বাহুল্যবর্জিত। উপকরণবহুল খুব কম খেলাই বাংলাদেশের নিজস্ব খেলা। উপকরণহীন খেলার মধ্যে এক্কাদোক্কা, দাড়িয়াবান্দা, গোল্লাছুট, কানামাছি, বরফ-পানি, বউচি, ছোঁয়াছুঁয়ি ইত্যাদি খেলা উল্লেখযোগ্য। উপকরণের বাহুল্যবর্জিত বা সীমিত সহজলভ্য উপকরণের খেলার মধ্যে ডাঙ্গুলি, সাতচাড়া, রাম-সাম-যদু-মধু বা চোর-ডাকাত-পুলিশ, মার্বেল খেলা, রিং খেলা ইত্যাদির নাম করা যায়। সাঁতার, বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায় ছাড়া, সাধারণ্যের কাছে আলাদা ক্রীড়া হিসেবে তেমন একটা মর্যাদা পায় না, যেহেতু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবশ্যকীয়ভাবে সাঁতার শিখতে হয়। গৃহস্থালী খেলার মধ্যে লুডু, সাপলুডু, দাবা বেশ প্রচলিত। এছাড়া ক্রিকেট ও ফুটবলের মতো বিভিন্ন বিদেশী খেলাও এদেশে বেশ জনপ্রিয়।
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি ট্রফি জয় করে, যার ফলে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো তাঁরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। সেবার প্রথম পর্বে বাংলাদেশ স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে। এছাড়া ২০০০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা লাভ করে। ক্রিকেট দলের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্যের অভাব থাকলেও তাঁরা বিশ্বের প্রধান ক্রিকেট দলগুলোকে, যেমন: অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকাকে হারিয়ে এসেছে। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে নাটকীয়ভাবে পরাজিত করে বিশ্বক্রিকেটে বিশেষ আলোচনার ঝড় তোলে। টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা লাভ করার পর এপর্যন্ত বাংলাদেশ তিনটি টেস্ট সিরিজ জয় করেছে। প্রথমটি জিম্বাবুয়ের সাথে ২০০৪-'০৫ খ্রিস্টাব্দে, দ্বিতীয়টি জুলাই ২০০৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপরীতে এবং তৃতীয়টি ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে জিম্বাবুয়েকে।[99]
বাংলাদেশের খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সব ফরম্যাট ক্রিকেটে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মর্যাদা অর্জন করেন।[100]
অন্যান্য খেলার মধ্যে হকি, হ্যান্ডবল, সাঁতার, কাবাডি এবং দাবা উল্লেখযোগ্য। এযাবৎ ৫ জন বাংলাদেশী - নিয়াজ মোর্শেদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার, আবদুল্লাহ আল রাকিব এবং এনামুল হোসেন রাজীব - দাবায় গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাব লাভ করেছেন।[101][102][103][104] বাংলাদেশের খেলাধুলা নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ২৯টি খেলাধূলা সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ফেডারেশন নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশ, ২০১১ খ্রিস্টাব্দে যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলংকার সাথে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রাম ও চা-শিল্পের জন্য বিখ্যাত সিলেটে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
আরো দেখুন
বাংলাদেশ-সম্পর্কিত নিবন্ধের সূচি
বাংলাদেশের রূপরেখা
বাংলাদেশীদের তালিকা
বাংলাদেশী মার্কিনিদের তালিকা
বাঙ্গালিদের তালিকা
ব্রিটিশ বাংলাদেশী ব্যক্তিদের তালিকা
বাংলাদেশী অভিনয়শিল্পীদের তালিকা
বাংলাদেশী স্থপতিদের তালিকা
বাংলাদেশী চিত্রশিল্পীদের তালিকা
বাংলাদেশী কবিদের তালিকা
বাংলাদেশ-সম্পর্কিত প্রসঙ্গের তালিকা
বাংলাদেশী টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
বাংলাদেশী লেখকদের তালিকা
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প
বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্কসমূহ
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
সরকার ও প্রশাসন সম্বন্ধীয়
অন্যান্য
বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ
বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার রাষ্ট্র
বিষয়শ্রেণী:নির্বাচিত নিবন্ধ
বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপমহাদেশ
বিষয়শ্রেণী:প্রজাতন্ত্র
বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র
বিষয়শ্রেণী:প্রতি বৎসর হালনাগাদ করা দরকার এমন নিবন্ধ
বিষয়শ্রেণী:বাংলাভাষী দেশ ও অঞ্চল
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
434,
2357,
2739,
4144,
5233,
5928,
7037,
7538,
8269,
9303,
10797,
11117,
12411,
13756,
13969,
14237,
15280,
16067,
16841,
17535,
19918,
20180,
21455,
21940,
23067,
24096,
24825,
25058
],
"plaintext_end_byte": [
433,
2356,
2738,
4143,
5197,
5927,
6950,
7537,
8268,
9221,
10795,
11116,
12372,
13354,
13968,
14150,
15279,
16047,
16840,
17473,
19918,
20129,
21393,
21939,
23066,
23901,
24795,
25009,
25202
]
} | ঋগ্বেদে মোট কয়জন দেবীর কথা উল্লেখ রয়েছে ? | হিন্দু দেবদেবী | bengali | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
হিন্দু উপাস্যগণ বলতে হিন্দুধর্মের দেব-দেবীদেরকে বোঝানো যায়।বৈচিত্রপূ্র্ণ এই ধর্মে উপাস্য বোঝাতে দেব,দেবী,ঈশ্বর,ভগবান,ভগবতী শব্দগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।[1][2]
হিন্দুদের দেব-দেবীগণ বৈদিক যুগ(খ্রীষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক) ও মধ্যযুগে(খ্রীষ্টীয় প্রথম শতক) নেপাল ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। [3][4] হিন্দু দেবতা বলতে যোগশাস্ত্রের ইষ্টদেবতা[5][6],তেত্রিশ বৈদিক দেবতা[7] বা শতাধিক পৌরাণিক দেবতাদের কথা বোঝানো যায়[8] । এদের মধ্যে মুখ্য দেবতারা হলেন বিষ্ণু,শিব ,শ্রী বা লক্ষী,পার্বতী বা দুর্গা,ব্রম্ভা এবং সরস্বতী। প্রত্যেক দেবতার আলাদা আলাদা জটিল জটিল চরিত্রাবলী বিদ্যমান হলেও তাঁদেরকে অনেকসময়ই ব্রাম্ভণ নামে এক নিরাকার পরম সত্তার অংশবিশেষ বলে ধরা হয়।[9] প্রাচীন কাল থেকেই এই একত্বের ধারনা হিন্দুধর্মের অন্যতম এক বৈশিষ্ট্য,যা ধর্মশাস্ত্র এবং হরিহর[10](শিব ও বিষ্ণু), অর্ধনারীশ্বর(অর্ধেক শিব অর্ধেক পার্বতী) -এর মতো মূর্তিগুলির ক্ষেত্রে দেখা যায়।[11]
মুখ্য দেবতার উপাসকরা হিন্দুধর্মের ভিন্ন শাখাগুলির জন্ম দিয়েছেন যেমন শৈবমত,বৈষ্ণবমত ও শাক্তমত। কিন্তু শাখাগুলির মধ্যে বহু মিলও আবার রয়েছে।
হিন্দু দেবতাদেরকে বিভিন্ন প্রতীকের দ্বারা চেনানো যেতে পারে,যেমন ছবি বা প্রতিমা। কিছু হিন্দুদর্শন যেমন চার্বাকরা আবার নাস্তিক্যবাদী মনোভাব পোষণ করেছেন এবং দেবতা বা ঈশ্বরের ধারণাকে অস্বীকার করেছেন।আর্য সমাজ বা ব্রাহ্ম সমাজের মতো ঊনবিংশ শতাব্দীর ধর্মমতগুলি একাধিক দেবতার ধারণাকে বাতিল করে অাব্রাহামীয় ধর্মগুলির মতই নিরাকার একেশ্বর-বিশ্বাসের পথে হেঁটেছেন। জৈনধর্ম বা বহির্ভারতীয় থাইল্যান্ড বা জাপানিজ বৌদ্ধবিশ্বাসে হিন্দু দেবতাদের আপন করে নেওয়া হয়েছে। এখনও এঁদেরকে সেইসব ধর্মীয় মন্দিরে বা শিল্পে দেখানো হয়।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় শাস্ত্রে মানবশরীরকে এক মন্দির বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে ভগবান মানবমন্দিরেই বসবাস করেন। একইরকমভাবে ব্রাম্ভণ বা পরমতম সত্তাকে আত্মা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে এই আত্মা শ্বাশ্বত ও প্রত্যেক প্রাণীশরীরে বাস করেন। হিন্দুধর্মের উপাস্যগণ বৈচিত্র্যময় কেননা হিন্দুধর্মাবলম্বীগণ বহুঈশ্বরবাদী,একেশ্বরবাদী নাস্তিক্যবাদী বা মানবতাবাদী হতে পারেন।
দেব-দেবীসমূহ
হিন্দুধর্মে দেবতা(পুংলিঙ্গ) ও দেবী(স্ত্রীলিঙ্গ) বলতে উপাস্য বোঝানো হয়।[12][13][14] এই শব্দগুলির বূৎ্যপত্তিগত অর্থ হল পবিত্র স্বর্গীয় বা অসাধারণ যেকোনো কিছু।[15] ডগলাস হারপারের মতে দেব শব্দের বূৎ্যপত্তিগত অর্থ হল “উজ্জ্বল যিনি” যেটি এসছে দিব্য বা উজ্জ্বল শব্দ থেকে।
আদি বৈদিক ধারণায় সমস্ত অমানবীয়রাই অসুর।[16][17] বৈদিক যুগের শেষের দিকে ভালো অতিমানবীয় ব্যক্তিত্বদের দেবাসুর নামে অভিহিত করা হয়।বেদোত্তর যুগের শাস্ত্রে, যেমন পুরাণে ও ইতিহাসে দেবতারা সাধু ও অসুররা দুর্বৃত্ত।[3][4] কিছু মধ্যযুগীয় ভারতীয় সাহিত্যে দেবতাদের সুর বলেও বর্ণনা করা হয়েছে এবং তাদের মতই শক্তিশালী কিন্তু দুষ্ট অসুরদের কথা বলা হয়েছে। এই অসুররা দেবতাদের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা।[18]
বৈদিক যুগের দেবতাদের বৈশিষ্ট্য
বৈদিক সাহিত্যে দেব-দেবীরা প্রাকৃতিক শক্তির প্রতীক। কয়েকজন যেমন আদিত্যগণ,মিত্র নৈতিক গুণাবলীর সঙ্গে সম্পর্কীত। একেকজন একেকটি করে বিশেষ জ্ঞান বা অতীন্দ্রিয় শক্তি(সিদ্ধি)-র অধিকারী। [21][22]
ঋগ্বেদে সবচেয়ে বেশি উল্লেখিত দেবতারা হলেন ইন্দ্র,অগ্নি,এবং সোম। অগ্নিদেবকে সমগ্র মানবজাতির মিত্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সোমাগ্নি যজ্ঞকালে উপাসিত দেবতাদ্বয়।অন্যান্য দেবতারা হলেন সাবিত্রী,বিষ্ণু,রুদ্র(পরবর্তীকালে শিবের সাথে সমার্থক) এবং প্রজাপতি( পরবর্তীতে ব্রহ্মা)।[23]
বৈদিক দেবীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এঁদের মধ্যে ঊষা,পৃথিবী,অদিতি,সরস্বতী,বাক,রাত্রি, অরণ্যানী ইত্যাদি ঋগ্বেদে বর্ণিত।.[24] শ্রী বা লক্ষীও পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে আছেন।[25] বৈদিক যুগে সমস্ত দেব-দেবীরা পৃথক। কিন্তু পরবর্তী শাস্ত্রে(অাঃ ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ—২০০ খ্রীষ্টাব্দ),বিশেষ করে প্রথম দিকের মধ্যযুগীয় শাস্ত্রে তাঁরা এক নিরাকার পরম ব্রহ্মের বিভিন্ন রূপ ।[25][26]
মধ্যযুগের দেবতাদের বৈশিষ্ট্য
হিন্দুশাস্ত্রের পুরাণ ও ইতিহাসে দেবতারা নায়ক এবং অসুরেরা খলনায়ক হিসাবে বর্ণিত ।[3][4] শ্রীমদ্ভাগবতগীতার মতে জীবজগতের সকল প্রাণীর মধ্যেই সাত্ত্বিক প্রবৃত্তি ও আসুরিক প্রবৃত্তি বিদ্যমান।[4][27] গীতার ষোড়শ পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সম্পূর্ণ সাত্ত্বিক ও সম্পূর্ণ তামসিক এই দুই চরিত্রই বিরল। অধিকাংশ মানুষই আসলে বহু গুণাদোষের সন্নিবেশ।.[4] জিনি ফাউলারের মতে কামনা বাসনা লোভ আবেগকে গীতায় সাধারণ জীবনের অঙ্গ বলেই ধরা হয়েছে। কিন্তু যখন তারা কাম ক্রোধ হিংসা মাৎসর্য ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক প্রবৃত্তিতে বদলে যায় তখন সাধারণ মানবিক প্রবৃত্তিগুলির আসুরিকতায় উত্তরণ ঘটে।[4][27]
মহাকাব্য ও মধ্যযুগীয় পুরাণ গুলির একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল যে হিন্দু দেবতাদের সঙ্গে নানারকম উপাখ্যান সংযুক্ত করা । [28][29][30]
অনেক পুরাণ মুখ্য দেবতাদের নামানুসারে নামাঙ্কিত যেমন বিষ্ণুপুরাণ,শিবপুরাণ ও দেবী-মাহাত্ম্য।[28] অন্যান্য টীকাকারেরা যেমন আদি-শঙ্কর এই মত পোষণ করেন যে,হিন্দু দেবদেবীগণ একাধারে ব্রহ্মাণ্ড ও মানবমন্দির এ দুয়েই অবস্থান করেন।[31][32] তাঁদের মতে সূর্যদেব দৃষ্টিশক্তি,বায়ুদেব নাসিকা,প্রজাপতি যৌনাঙ্গে, লোকপালগণ কর্ণে ও চন্দ্রদেব মনে অবস্থান করেন। বরুণ নিশ্বাসে, মিত্র প্রশ্বাসে ,ইন্দ্রদেব বাহুদ্বয়ে ও বৃহস্পতি বাকে অবস্থান করেন। বিষ্ণু পদদ্বয়ে ও মায়া হাস্যে অবস্থান করেন।[32]
দেবতার সংখ্যা
ভারতের প্রথম প্রামাণ্য ভাষাবিদ যক্ষ() উল্লেখ করেছেন যে বেদে তিন দেবতা আছেন,যথা “মর্ত্যবাসী অগ্নি,শূণ্যবাসী বায়ু ও আকাশবাসী সূর্য)।[33] এই ত্রিলোকের ধারণা এরপর বহু প্রাচীন শাস্ত্রেই আাসে। বেদের প্রাচীনতম অংশ সংহিতায় "৩৩ দেব"-এর কথা বলা রয়েছে,[note 1] হয় ত্রিলোকের একাদশ দেবতা বা দ্বাদশ আদিত্য,একাদশ রুদ্র,অষ্টবসু এবং বেদের ব্রাহ্মণ অংশে অশ্বিনীকুমারদ্বয়।[7][15]
ঋগ্বেদের ১/১৩৯/১১ নং সুক্ত অনুযায়ী
ये देवासो दिव्येकादश स्थ पृथिव्यामध्येकादश स्थ ।
अप्सुक्षितो महिनैकादश स्थ ते देवासो यज्ञमिमं जुषध्वम् ॥११॥[111]
O ye eleven gods whose home is heaven, O ye eleven who make earth your dwelling,
Ye who with might, eleven, live in waters, accept this sacrifice, O gods, with pleasure.
– Translated by Ralph T. H. Griffith[37]
Gods who are eleven in heaven; who are eleven on earth;
and who are eleven dwelling with glory in mid-air; may ye be pleased with this our sacrifice.
– Translated by HH Wilson[38]
বহু দেবতার একত্ব সম্পর্কে ধারণা
যজুর্বেদে তেত্রিশ কোটি জন দেবতার কথা বলা রয়েছে।[39] তবে হিন্দুধর্মে কোনও নির্দিষ্ট-সংখ্যক দেবতার ধারণা নেই,বরং একই দেবতার একাধিক রূপ প্রচলিত।[40][41] তবে সাধারণভাবে তেত্রিশ কোটি দেবতার একটা ধারণা বেশ জনপ্রিয়। ফাওলস্টোন ও এ্যাবট দেখিয়েছেন যে এঁদের মধ্যে অধিকাংশ দেবী।[40] তেত্রিশ কোটি দেবতার কোনও তালিকা অনুপস্থিত তবে সকল দেবতাকেই এক নিরাকার পরম ব্রহ্মের ভিন্ন ভিন্ন স্বরুপ হিসাবে দেখা হয়।[40][41][42]
ব্রহ্মের ধারণা আব্রাহামীয় গড এর সঙ্গে সম্পূর্ণ এক নয়। ব্রড বলেন যে আব্রাহামীয় ধর্মে গড “স্রষ্টা ও মানব অস্তিত্বের থেকে পৃথক”। কিন্তু হিন্দুমতে ঈশ্বর,ব্রহ্মাণ্ড,মানুষ ও অন্যান্য জীবজগৎ আসলে একই সূত্রে গ্রথিত । ইশ্বর আত্মারূপে সকলের মধ্যেই অবস্থান করেন। এই আত্মা শাশ্বত ও পরম সত্তা।[42][43]
উদাহরণ
হিন্দুধর্মের মুখ্য দেবতাদের নিয়ে পুরাণ অগমের মতো বহু সাহিত্য রচিত হয়েছে।[44][45] বিষ্ণু এবং তাঁর অবতারেরা বৈষ্ণব-সাহিত্যের মূল বিষয়। ঠিক তেমনই শৈব- সাহিত্যে মহাদেব এবং শাক্তদের ক্ষেত্রে দেবী মুখ্য। স্মার্তদের মতো কেউ কেউ পরম ব্রহ্মের বিভিন্ন অংশ হিসাবে মুখ্য দেবতাদের উপাসনা করেছেন।[41][46][47]
লরেন্স বলেছেন যে এই ধর্মশাখাগুলি শুধুমাত্র তাদের দেবতাকেই একমাত্র পরম সত্য বলে প্রচার করেনি।[41] জুলিয়াস লিপনার দেখিয়েছেন যে এই বহুবাদিতা,যেখানে অন্য শাখার মুখ্য দেবতাকেও যথেষ্ট সম্মান জানানো হয়,হিন্দুধর্মের এক প্রধান বৈশিষ্ট্য।.[44][48]
ত্রিমূর্তি ও ত্রিদেবী
ত্রিনাথের ধারণা হিন্দু সাহিত্যে বেশ কিছুটা পরের দিকেই এসছে। আনুমানিক প্রথম খ্রীষ্টপূর্বাব্দ শতকে এর আত্মপ্রকাশ।[49] ত্রিনাথের ধারণা এই যে ব্রহ্মা বিষ্ণু ও মহেশ্বর এই তিন দেবতা সৃষ্টির তিন কর্মে নিয়োজিত থাকেন। ব্রহ্মা জগৎ সৃষ্টি করেন,বিষ্ণু তা পালন করেন ও মহেশ্বর সৃষ্টির বিনাশ সাধন করেন। তবে এই তিন জন হিন্দু সাহিত্যের একমাত্র ত্রিনাথ নন।[50] ত্রিদেবী হিসাবে লক্ষ্মী সরস্বতী ও দুর্গারও উল্লেখ আছে দেবী-মাহাত্ম্য গ্রন্থে। শাক্তরা কেউ কেউ আবার এও বিশ্বাস করে থাকেন যে দেবীই হলেন পরম ব্রহ্ম এবং তাঁরই শক্তি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর-কে পরিচালিত করে। [49] প্রাচীন শাস্ত্রে উল্লেখিত অন্য ত্রিনাথরা হলেন সূর্য(স্রষ্টা),বায়ু(পালক) ও অগ্নি(প্রলয়কারী) ; প্রাণ (স্রষ্টা),খাদ্য(পালক) ও কাল(প্রলয়কারী)।[49] জেন গোণ্ডা দেখান যে বিভিন্ন সময়ে তিন দেবতাদেরকে ত্রিস্তর না বানিয়েই একত্রিত করা হয়েছে,আবার কখনও তাদেরকে এক সচ্চিদান্দ পরম ব্রহ্মেরই অংশবিশেষ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[49] পুরাণে ধারণাটি এভাবে বর্ণিত হয়েছে
They [Brahma, Vishnu, Shiva] exist through each other, and uphold each other; they are parts of one another; they subsist through one another; they are not for a moment separated; they never abandon one another.—Vayu Purana, 5.17, Translated by Jan Gonda[49]
আধুনিক ত্রিদেবের ধারণা মৈত্রেনীয় উপনিষদে প্রথম বর্ণিত হয়। এই ধারণাই বর্তমান কাল পর্যন্ত চলে আসছে। এই ত্রিদেবকে তিন গুণের দ্বারা বর্ণনা করা হয়ে থাকে।প্রকৃতি ও জীব প্রত্যেকেই সত্ত্ব,রজ ও তম এই তিন গুণের সমাহারে গঠিত। এই ত্রিগুণের সঠিক অনুপাতই ব্যক্তি ও পৃথিবীকে সচল রাখে।[50][51] মধ্যযুগীয় পুরাণে আচার থেকে আধ্যাত্মিক বিভিন্ন ব্যাপারেই ত্রিমূর্তির উল্লেখ আছে।তবে বেলির মতে পৌরাণিক কাহিনী হিন্দু ঐতিহ্যে প্রধান নয়,বরং তার আধ্যাত্মিক বার্তাটিই বড় কথা।[50]
হিন্দু দেবতাদের অবতার
হিন্দু দেবতাদের অবতারের ধারণাটি বহু প্রাচীন।দেবতারা যখন মানবজন্ম ধারণ করে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন,তখন তাদের অবতার বলা হয়।[52][53] অবতারের অর্থ দেবতাদের মানবরূপে পৃথিবীতে প্রকট হওয়া।[54][55]
অবতারের ধারণাটি বৈষ্ণবধর্মে সবচেয়ে পরিপুষ্ট ।[56][57] পুরাণে বিষ্ণুর বহু অবতারের কথা বলা আঠে। সমুদ্রমন্থনের সময় তিনি মোহিনী রূপ ধারণ করে দেবাসুরের বিবাদ মেটান। বিষ্ণুর দশাবতাররা হলেন মৎস্য,কূর্ম,বরাহ,নৃসিংহ,বামন,পরশুরাম,রাম,কৃষ্ণ,বুদ্ধ ও কল্কি।[57] ভগবতগীতায় বলা আছে যে যখনই ভারতভূমিতে অধর্মের অভুত্থান ঘটবে,তখন সাধুদিগের পরিত্রাণ ও অধর্মাচারীর বিনাশের উদ্দেশ্যে ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং দেহধারণ করে পৃথিবীতে আবির্ভূত হবেন।[53]
শাক্তধারাতেও দেবীর বিভিন্ন রূপে প্রকাশ হবার কথা বলা আছে।[58] দেবী মহামায়ার বিভিন্ন রূপ হল দু্র্গা কালী ও জগদ্ধাত্রী। এদেঁরকে পূ্র্ব ভারতে বেশি করে পূজা করা হয়। তন্ত্রধর্মে এঁদের বিশেষ স্থান রয়েছে।[59][60][61] শৈবসাহিত্যে শিবের একবিংশ অবতারের কথা বলা থাকলেও শৈবধারা অবতারদের চেয়ে স্বয়ং শিবকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।[52]
প্রধান প্রাদেশিক ও সর্বভারতীয় হিন্দু দেবতারা
পরিশিষ্ট
টীকা
তথ্যসূত্র
Daniélou, Alain (1991) [1964]. . Inner Traditions, Vermont, USA. .
Fuller, C. J. (2004). . Princeton University Press, New Jersey. .
Harman, William, "Hindu Devotion". In: , Robin Rinehard, ed. (2004) .
Kashyap, R.L. Essentials of Krishna and Shukla Yajurveda; SAKSI, Bangalore, Karnataka .
Pattanaik, Devdutt (2009). 7 Secrets from Hindu Calendar Art. Westland, India. .
Swami Bhaskarananda, (1994). Essentials of Hindusim. (Viveka Press) .
Vastu-Silpa Kosha, Encyclopedia of Hindu Temple architecture and Vastu. S.K.Ramachandara Rao, Delhi, Devine Books, (Lala Murari Lal Chharia Oriental series) ISBN.978-93-81218-51-8 (Set)
Werner, Karel A Popular Dictionary of Hinduism. (Curzon Press 1994) .
আরোও পড়ুন
Chandra, Suresh (1998). . Sarup & Sons, New Delhi, India. .
Pattanaik, Devdutt (2003). . Inner Traditions / Bear & Company. .
Kinsley, David. . Motilal Banarsidass, New Delhi, India. .
বহিঃসংযোগ
(with pictures)
বিষয়শ্রেণী:হিন্দু পুরাণ
বিষয়শ্রেণী:হিন্দু দেবদেবী
| https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%20%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%80 |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
508,
985,
1146,
1481,
2550,
2687,
3159,
3291,
3620,
3983,
4210,
4570,
4981,
5107,
5244,
5606,
5837,
6084,
6601,
6890,
7270,
7569,
8456,
8813,
9466,
10206,
11011,
11651,
12235,
12599,
12934,
13705,
13961,
14361,
14870,
15014,
16011,
16939,
17739,
21507,
21865,
22207,
22545,
23094,
24042,
25323,
25953,
26494,
26780,
27363,
28199,
28789,
30580,
30813
],
"plaintext_end_byte": [
507,
984,
1145,
1465,
2549,
2686,
3158,
3290,
3619,
3982,
4209,
4569,
4980,
5106,
5243,
5605,
5836,
6083,
6528,
6889,
7269,
7568,
8455,
8812,
9465,
10205,
10959,
11650,
12234,
12522,
12908,
13704,
13960,
14360,
14823,
15013,
15943,
16894,
17663,
21506,
21864,
22111,
22483,
23046,
23926,
25322,
25952,
26493,
26745,
27362,
28198,
28741,
30545,
30724,
30942
]
} | Сколько банков в России на март 2019? | Сбербанк России | russian | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
«Сбербанк» — российский финансовый конгломерат, крупнейший транснациональный и универсальный банк России, Центральной и Восточной Европы. Контролируется Центральным банком Российской Федерации, которому принадлежит 50 % уставного капитала плюс одна голосующая акция[1][2].
Предоставляет широкий спектр банковских услуг. Доля Сбербанка в общем объёме активов российского банковского сектора составляла на 1 января 2016 года 28,7 %. На рынке частных вкладов — 46 %. Кредитный портфель соответствовал 38,7 % всех выданных кредитов населению.
В 2018 году ценность бренда Сбербанка составила 670,4 млрд р. (самый дорогой бренд России)[3].
Центральный офис в Москве. По состоянию на 1 мая 2017 года число отделений Сбербанка составило 14 826[4]. С 1 июля 2017 года у компании насчитывается 12 территориальных дочерних банков.
История
Во времена Советского Союза с 1922 года по 1987 год действовала система Государственных трудовых сберегательных касс СССР, подчинявшаяся с 1922 года по 1963 год Министерству финансов СССР, а с 1963 года Государственному банку СССР[5]. В 1987 году в рамках банковской реформы в СССР система Государственных трудовых сберегательных касс была реорганизована, и образован Банк трудовых сбережений и кредитования населения СССР (Сберегательный банк СССР). Постановлением Верховного Совета РСФСР от 13 июля 1990 года Российский республиканский банк Сбербанка СССР был объявлен собственностью РСФСР[5].
В 1989 году Сбербанк стал первым банком-членом платёжной системы Visa в СССР[6].
22 марта 1991 года произошло учреждение Акционерного коммерческого Сберегательного банка Российской Федерации (Сбербанк России ОАО) на общем собрании акционеров в соответствии с Законом РСФСР «О банках и банковской деятельности в РСФСР» от 2 декабря 1990 года.
1 января 1992 года Сберегательный банк СССР прекратил своё существование.
1 января 2001 года в Сбербанке России произведена реорганизация, в результате которой 79 региональных банков Сбербанка России реорганизованы в 17 территориальных, путём объединения.
В феврале 2007 года проведено масштабное размещение акций банка, известное как «народное IPO», в ходе его проведения многие сотрудники Сбербанка принуждались руководством к приобретению этих акций[7].
В июне 2010 года банк получил разрешение Китайской банковской регуляторной комиссии на открытие представительства в Пекине.
4 июня 2010 года решением акционеров банка полное официальное наименование банка было сокращено до «Сбербанк России ОАО»[8]. 29 июля 2010 года Банк России согласовал редакцию устава с новым названием[1].
В сентябре 2010 года полное наименование банка изменилось на открытое акционерное общество «Сбербанк России» (ОАО «Сбербанк России»). На английском языке фирменное наименование изменилось на «Sberbank of Russia» (сокращённо «Sberbank»).
В сентябре 2010 года «Сбербанк России» открыл филиальную сеть в Индии.
В сентябре 2010 года была завершена регистрация представительства в Пекине.
В июне 2011 года стало известно о создании Сбербанком и французским банком BNP Paribas совместного банка, который, работая под торговой маркой Cetelem, будет заниматься розничным кредитованием в магазинах[9].
В августе 2015 года полное наименование банка изменилось на публичное акционерное общество «Сбербанк России» (ПАО Сбербанк).[10]
В конце января 2017 года глава банка Герман Греф оценил, что к 2025 году численность сотрудников Сбербанка снизится с 330 тысяч в два раза.[11]
14 декабря 2017 года на Дне инвестора в Лондоне была представлена стратегия развития до 2020 года, согласно которой Сбербанк должен превратиться в универсальную технологическую компанию для дальнейшей конкуренции с Alibaba, Tencent, Facebook, Google, Amazon, Apple[12].
Слияния и поглощения. Дочерние проекты
11 марта 2011 года стало известно о том, что Сбербанк покупает 100 % российской инвестиционной компании «Тройка диалог» (ныне Sberbank CIB) за сумму в 1 млрд долларов[13].
28 декабря 2011 года Сбербанк и Cetelem (подразделение потребительского кредитования группы BNP Paribas) заключили обязывающее соглашение о создании совместного банка на рынке кредитования в точках продаж в России[14].
В 2011 году руководство банка объявило о начале экспансии на рынки Восточной Европы и Турции[15]. В течение года Сбербанк сделал ряд приобретений на этих территориях:
В июле 2011 года было объявлено о приобретении холдинга Volksbank International (VBI) — восточноевропейского подразделения австрийской банковской группы «Österreichische Volksbanken AG» (тогда же стало известно, что эта группа стала одним из восьми европейских банковских институтов, не прошедших стресс-тест Европейского банковского управления)[16]. Окончательное соглашение о сделке, которую планировалось завершить до конца года и которая оценивалась в сумму 585—645 млн евро, было подписано в сентябре 2011[15].
В декабре 2011 года Сбербанк проинформировал о приобретении специализирующегося на услугах «private banking» дочернего банка «Лукойла» в Швейцарии — SLB. Стоимость покупки составила 80,62 млн долларов[15].
В июне 2012 года Сбербанк объявил о крупнейшей своей зарубежной покупке — достижении договорённости о приобретении турецкого бизнеса франко-бельгийской группы Dexia, банка . Предполагается, что Dexia, распродающая свои активы в связи с убытками, понесёнными в Греции, уступит 100-процентный контроль в Denizbank за 3,47 млрд долларов (1,38 собственного капитала банка)[17].
В октябре 2016 года было достигнуто соглашение о создании дочернего виртуального оператора сотовой связи на основе сети Теле2[18]. Интерес к проекту Греф объяснял ростом тарифов на SMS со стороны мобильных операторов. 5 июля 2017 года «Сбербанк-Телеком» была выбрана банком поставщиком услуг связи по формированию, обработке и отправке СМС-сообщений своим клиентам, стоимость услуг была оценена в 146,75 млн р.[19].
18 мая 2017 года была зарегистрирована микрокредитная компания «Выдающиеся кредиты», 4 июля внесенная в реестр ЦБ. Её основным акционером (99 % акций) является компания «Корус Консалтинг СНГ», полностью принадлежащая ПАО Сбербанк. На этапе пилотного проекта, стартующего в третьем квартале, планировалось начать выдачу микрозаймов до 1 млн руб. для предпринимателей в Москве, Санкт-Петербурге и Нижнем Новгороде[20].
Собственники и руководство
Доля Центрального банка Российской Федерации в уставном капитале ПАО Сбербанк составляет 50 % плюс одна голосующая акция, в голосующих акциях — 52,32 %[21]. Остальными акционерами Сбербанка являются более 8273 юридических и физических лиц. Доля физических лиц в уставном капитале банка составляет около 2,84 %, а доля иностранных инвесторов — более 45 %[22].
С 1996 года торги акциями Сбербанка проводятся на российских биржах ММВБ и РТС. В марте 2007 года банк разместил дополнительный выпуск обыкновенных акций, в результате чего уставный капитал увеличился на 12 %, и было привлечено 230,2 млрд р. Средний дневной объём торгов акциями Сбербанка составляет 40 % объёма торгов на ММВБ.
Большой резонанс в мировой прессе вызвало утверждение в мае 2016 года членом наблюдательного совета Сбербанка бывшего премьер-министра Финляндии Эско Ахо[23].
Председатели правления Сбербанка России
Жихарев Павел Иванович (март 1991 — март 1993)
Яшин Олег Владимирович (март 1993 — январь 1996)
Казьмин Андрей Ильич (январь 1996 — октябрь 2007)
Греф Герман Оскарович (с октября 2007)
Деятельность
Филиальная сеть банка на середину 2010-х годов включает 14 территориальных банков и почти 17,5 тыс. подразделений по России. Дочерние банки Сбербанка России работают в Казахстане, Украине, Белоруссии, Германии. В июне 2010 года Сбербанк получил разрешение Китайской банковской регуляторной комиссии на открытие представительства в Пекине, а в сентябре 2010 года Банк России зарегистрировал филиал ОАО «Сбербанк России» в Индии.
У банка имеется дочерняя инвестиционная компания «Сбербанк Капитал», занимающаяся санацией и управлением заложенными в банке активами[24].
С 1993 по 2010 годы Сбербанк участвовал в развитии российской платёжной системы Сберкарт. С 2010 года банк участвует в проекте создания универсальной электронной карты, являясь одним из учредителей оператора проекта УЭК[25].
3 февраля 2012 года Сбербанк объявил, что создаёт венчурный фонд на базе венчурного подразделения «Тройки Диалог» — «Тройка Венчурз» со стратегией инвестирования в высокотехнологические компании и проекты, начальные инвестиции составят 100 млн долл[26].
Показатели деятельности
Является крупнейшим в России банком по объёмам операций с физическими лицами.
В первом квартале 2016 года чистая прибыль по международным стандартам финансовой отчётности (МСФО) выросла в 3,8 раза (на 284,6 %) по сравнению с аналогичным периодом прошлого года и достигла 117,7 млрд рублей[27]. Для оценки и аудита активов и собственности банк пользуется услугами независимых аудиторов. Оценку и аудит имущества и подразделений Сбербанка неоднократно осуществляла компания «Нексиа Пачоли» — одна из десяти крупнейших аудиторских компаний России, входящая в международную сеть Nexia International[28][29].
Производственная система Сбербанка
С 2008 года в банке реализуется так называемая «производственная система Сбербанка» (ПСС)[30], использующая принципы бережливого производства в управлении и предназначенная для обеспечения роста удовлетворённости клиентов, повышения эффективности работы персонала и повышения мотивации служащих[31]. Советником Германа Грефа по внедрению ПСС весной 2011 года назначен Джон Теуркоф (Jon Theuerkauf), до этого работавший в банке Credit Suisse, весной 2013 года[32] его контракт с банком был расторгнут[33].
Государственные услуги
Осенью 2017 года Сбербанк начал открывать в отдельных регионах, где наблюдается дефицит Многофункциональных центров оказания услуг (МФЦ), специализированные представительства МФЦ — «Сбер-МФЦ». В таких отделениях банковские специалисты выполняют функции сотрудников МФЦ: регистрация юридических лиц и индивидуальных предпринимателей, информирование о налогах, оформление справок и так далее.
Территориальные банки Сбербанка России
Байкальский банк — Забайкальский край, Иркутская область, Республика Бурятия, Республика Саха (Якутия);
Волго-Вятский банк — Нижегородская область, Владимирская область, Кировская область, Республика Мордовия, Республика Марий Эл, Чувашская республика, Республика Татарстан; Удмуртская республика, Пермский край;
Дальневосточный банк — Хабаровский край, Амурская область, Приморский край, Сахалинская область, Еврейская автономная область, Магаданская область, Камчатский край, Чукотский автономный округ.
Западно-Сибирский банк — Тюменская область, Ханты-Мансийский автономный округ, Ямало-Ненецкий автономный округ, Омская область;
Московский банк — Москва (со 2 ноября 2009 года);
Поволжский банк — Самарская область, Ульяновская область, Оренбургская область, Саратовская область, Волгоградская область, Астраханская область, Пензенская область;
Северо-Западный банк — Санкт-Петербург, Ленинградская область, Мурманская область, Калининградская область, Псковская область, Новгородская область, Республика Карелия, Вологодская область, Архангельская область, Ненецкий автономный округ; Республика Коми;
Сибирский банк — Новосибирская область, Томская область, Кемеровская область, Алтайский край, Республика Алтай; Красноярский край, Республика Тува, Республика Хакасия;
Среднерусский банк — Московская область, Тверская область, Калужская область, Брянская область, Смоленская область, Тульская область, Рязанская область, Ярославская область, Костромская область, Ивановская область;
Уральский банк — Свердловская область, Челябинская область, Курганская область, Республика Башкортостан;
Центрально-Чернозёмный банк — Воронежская область, Орловская область, Липецкая область, Курская область, Белгородская область, Тамбовская область;
Юго-Западный банк — Ростовская область, Краснодарский край, Республика Адыгея, Ставропольский край, Республика Ингушетия, Республика Северная Осетия - Алания, Кабардино-Балкарская республика, Республика Дагестан, Карачаево-Черкесская республика, Республика Калмыкия, Чеченская республика.
Ранее также существовал Северо-Восточный банк, вошедший в 2013—2014 годах в состав Дальневосточного банка, а также Северный и Западно-Уральский банки, прекратившие своё существование 1 июля 2017 года.
Отделение в Каменске-Шахтинском
Отделение в Оренбурге
Отделение в Подольске
Отделение в Атырау в Казахстане
Бывшее отделение в Ялте
Дочерние организации
Оценки рейтинговых агентств
В 2018 году Forbes проанализировал оценки рейтинговых агентств и составил список самых надёжных банков России, в котором Сбербанк занял четвёртое место.[36]
Логотип и смена фирменного стиля
Начиная с 14 декабря 2009 года банк ввёл новый фирменный стиль, сменив в оформлении тёмно-зелёные цвета на светло-зелёные и заменив логотип. Концепцию ребрендинга разработало бренд-консалтинговое британское агентство Fitch, работавшее ранее с Почтой России и «Детским миром»[37].
Вклады советских граждан
После либерализации цен в начале 1990-х годов государство и Сбербанк фактически отказались от гарантий обеспечения вкладов граждан[38], в результате произошло их обесценивание, вызвавшее, по данным социологических опросов, резкое недовольство населения[39]. С 1996 года проводится поэтапная компенсация потерь вкладчиков[40]. С 16 февраля 2008 года филиалы Сбербанка начали выплачивать компенсацию по советским вкладам граждан отдельным категориям населения[41].
Внутрироссийские и международные отношения
Бойкот на Украине
С 2013 года отделения ПАО Сбербанк (дочернего банка на Украине) стали объектами внимания активистов кампании «Не покупай российское!» Активисты призвали не обслуживаться в Сбербанке, указывая на российское происхождение владельцев банка[42]. Широкое распространение идея бойкота приобрела весной 2014 года с присоединением Крыма к Российской Федерации и началом боевых действий на востоке Украины. Тогда по Украине прокатилась волна акций против российских банков, в том числе и против Сбербанка[43]. Были и случаи вандализма и погромов банков[44], в частности, после озвученных Генеральной прокуратурой и Службой безопасности Украины обвинений в финансировании терроризма и сепаратизма на Украине[45].
16 марта 2017 года президент Украины Пётр Порошенко одобрил санкции в отношении пяти украинских банков с участием российских капиталов, в том числе и ПАО Сбербанк. Ему запрещён вывод капиталов «за пределы Украины в пользу связанных с ними лиц» из-за принятия президентом РФ указа, обязывающего банки обслуживать владельцев паспортов ЛНР и ДНР[46].
27 марта 2017 года было объявлено, что украинский бизнес Сбербанка продается консорциуму из латвийского банка Norvik Banka (владелец Григорий Гусельников) и частной белорусской компании, принадлежащей сыну российского предпринимателя Михаила Гуцериева Саиду Гуцериеву[47]. Однако сделка не состоялась.
Летом 2017 года белорусский предприниматель Виктор Прокопеня подал собственную заявку в НБУ о покупке украинского отделения Сбербанка[48].
Санкции Евросоюза
В сентябре 2014 года в ходе политического кризиса на Украине Европейский союз (ЕС) ввёл третий этап санкций против ряда российских компаний с государственной долей собственности, среди которых, предположительно[49], оказался и «Сбербанк России». Банку ограничен доступ к рынкам капитала ЕС (запрет получения кредитов)[50].
В мае 2015 года глава Сбербанка на годовом собрании акционеров объяснил, что из-за санкций банк не планирует начинать работу в Крыму[51]. Ранее, в 2014 году, он прекратил там деятельность своего украинского подразделения по требованию украинских регуляторов. Сбербанк, таким образом, нарушает закон и рискует подпасть под российские штрафные санкции за необоснованный отказ обслуживать граждан Российской Федерации, проживающих на территории Республики Крым.
Несмотря на то, что в новом списке санкций 2018 года, в который попали российские чиновники, официальные лица и предприниматели, не было главы Сбербанка Германа Грефа, нововведение отразилось на бизнесе компании. В первый рабочий день фондового рынка стоимость акций Сбербанка упала сразу на 20 %[52].
Конфликт с «Транснефтью»
23 июня 2017 года арбитражный суд Москвы посчитал действия Сбербанка при заключении сделки валютного расчетного опциона с Транснефтью в 2013 году недобросовестными: банк действовал исключительно в собственных интересах и не проинформировал компанию надлежащим образом о всех связанных со сделкой рисках, воспользовавшись неспособностью Транснефти оценить их самостоятельно. Суд постановил признать недействительной сделку с барьерными опционами, в результате которой Транснефти пришлось выплатить Сбербанку 67 млрд р. из-за ослабления рубля в 2015 году. Суд посчитал эту сумму «сверхприбылью» банка, отклонив его довод о несении сопоставимых расходов по сделке. Банк будет обжаловать это решение[53]. В августе 2017 года Девятый арбитражный апелляционный суд отменил решение Арбитражного суда Москвы, который в июне удовлетворил иск Транснефти к Сбербанку[54]. Транснефть подала апелляцию. 28 декабря 2017 года стороны объявили о заключении мирового соглашения[55].
Брокерские услуги
Брокерскими услугами Сбербанка пользуются более 180 тыс. инвесторов в России[56].
См. также
Сбербанк Украины
Примечания
Ссылки
Категория:Банки России
Категория:Глобальные финансовые конгломераты | https://ru.wikipedia.org/wiki/%D0%A1%D0%B1%D0%B5%D1%80%D0%B1%D0%B0%D0%BD%D0%BA%20%D0%A0%D0%BE%D1%81%D1%81%D0%B8%D0%B8 |
{
"plaintext_start_byte": [
1,
666,
1309,
1931,
2363,
2560,
2982,
4137
],
"plaintext_end_byte": [
665,
1308,
1930,
2362,
2552,
2955,
4126,
4281
]
} | Je, nani alizinduwa umeme? | Andrew Mwenda | swahili | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
Andrew Mwenda ni mwandishi wa habari Uganda . Yeye alihudhuria Chuo cha Busoga Mwiri mashariki mwa Uganda kabla ya kuhudhuria Chuo Kikuu cha Makerere. Alikamatwa na kutolewa na dhamana na serikali ya Uganda kwa ajili ya "kumiliki vifaa na kuchapisha makala ya uchochezi ".[1] Alipata shahada ya bwana yaUchumi katika Chuo Kikuu cha London nchini Uingereza. Awali alikuwa mhariri wa siasa wa gazeti la Monitor na mwenyeji wa kipindi cha Andrew Mwenda Live katika redio ya KFM . Mwaka wa 2005, alikuwa miongoni mwa waandishi wa habari kumi na sita walioalikwa na serikali ya Uingereza kukutana na waziri mkuu Tony Blair kommande kujadili ripoti ya Tume ya Afrika.
Agostimwaka wa 2005 alishatakiwa kwa fitna kwa utangazaji mjadala wa sababu ya kifo cha makamu wa rais wa Sudan John Garang. Garang aliuawa wakati helikopta ya rais wa Uganda ilianguka katika eneo nyuma kutoka nchini Uganda. Katika kipiondi chake cha redio, mwandishi aliishutumu serikali ya Uganda "ktokuwa makini" na alisema kuwa walikuwa walimweka Garang helikopta isiyokuwa taratibu ... usiku ... katika hali ya hewa isiyokuwa nzuri ... juu ya eneo hatari".[2] Alimshutumu pia Rais Yoweri Museveni, na kumwita mshindwa, anayeogopa na "mtu aliyetoka kijijini", na kusema siku za rais zimehesabiwa ikiwa yeye "akiendeleza mgongano nami".[3]
Mnamo Julai mwaka wa 2006, Mwenda alionekana mbele ya kamati ya British House of Commons katika umasikini wa dunia ili kushuhudia dhidi ya misaada Afrika. Ameandika sana juu ya madhara ya misaada katika mchakato wa maendeleo katika Afrika na kuchapishwa katika magazeti ya kifahari kama International Herald Tribune na Der Spiegel na kufanyika redio na televisheni ya BBC katka somo hili. Bwana Mwenda pia ametajwa katika vyombo vya habari vya kimataifa - BBC, CNN, New York Times, Washington Post, The Times, The Economist, na magazeti mengine mengi,mitandao ya redio na televisheni, katika Ulaya na Amerika Kaskazini.
Pia amekosoa mashirika ya misaada kwa kusema nikutowajibika na kuchangia katika ufisadi. Yeye anaamini kuwa misaada ya magharibi haijasaidia kwa maendeleo ya Afrika, kwani huendeleza ufisaadi na vita. Anasema kuwa misaada inakwenda katika nchi zisizohitaji misaada, nchi ambazo zina watu walioaguka, kuliko zile ambazo zimejirekebisha. Mwezi Juni wa 2007, yeye alitoa hotuba kuhusu masuala haya katika mkutano TED Arusha, Tanzania.
Bwana Mwenda alikuwakatika ushirika wa John S. Knight katika chuo kikuu cha Stanford nchini Marekani. Mnamo Desemba mwaka wa 2007, alizinduwa gazeti lake la The Independenet mjini Kampala.
Makala
Charles Mwanguhya mpagi, Sunday Monitor, 14 Agosti 2005
Alfred Wasike, New Vision, 14 Agosti 2005
BBC News, 13 Agosti 2005
BBC News, 12 Agosti 2005
IFEX, 17 Agosti 2005
Reporters Sans Frontières, 19 Agosti 2005
Gelf Magazine, 1 Septemba 2005
The Times, 8 Julai 2006
Taasisi ya Cato
Die Weltwoche, 12 Oktoba 2006
Reuters Afrika, Alhamisi 13 Desemba 2007
BBC, Jumamosi 26 Aprili 2008
Video
Makala ya Karibuni
2007: Investieren Geht über Schmieren, Entwicklungspolitik, Desemba 2007, Nr. 12 62 Jahr.
2007: nguvu binafsi nchini Uganda, Makala ya Demokrasia, Julai 2007, Volume 18, Number 3
2006: "Kuendeleza Kukuza Uchumi na Kupunguza Umaskini: Jinsi Uganda iliepuka k zogo"; katika ushambulzi wa Umasikini Afrika: Uzoefu kutoka mashinani,kuhaririwa na Louise Fox na Bob Liebenthal, Benki ya Dunia, Washington DC.
2006: Misaada kutika nje inamaliza Uwajibikaji wa Kidemokrasia Uganda (jarida la Taasisi ya Cato, katika mkutano wa think tank Washington DC.
2006: Akiwa na Roger Tangri: 'Siasa, Wafadhili, na kutowajibika kwa Taasisi za Kupambana na Ufisadi nchini Uganda', Jrida la Modern African Studies, 44, 1 (2006)
2005: Akiwa na Roger Tangri: ' Siasa, Marekebisho ya Wafadhili , na ushirikiano nchini Uganda', African Affairs, 104, 416 (2005), 449-67.
2003: Akiwa na Roger Tangri: "Ufisadi katika jeshi na Siasa Rush Uganda tangu mwishoni mwa miaka ya 1990." Katika Review of African Political Economy No 98, 2003.
2001: Akiwa na Prof Roger Tangri, Ufisadi nchini Uganda katika Ubinafsishaji katika miaka ya 1990, Afrika Affairs 100-398 (2001) 87-103
Marejeo
Jamii:Waandishi wa Uganda
Jamii:Mwaka wa kuzaliwa usiopatikana (watu wanaoishi)
Jamii:Watu walio hai
Jamii:Waliohudhuria Chuo Kikuu cha Makerere
| https://sw.wikipedia.org/wiki/Andrew%20Mwenda |
{
"plaintext_start_byte": [
2,
1151,
2146,
2968,
3822,
5901,
7606,
10239,
11658,
14345,
15690,
16378,
18688,
21306,
22093,
24467,
26177,
28233,
28887,
29402,
30964,
32163,
32570,
33166,
33808,
35048,
35557,
36355,
36659,
37425,
38151,
39582,
43438,
44178,
44715,
45041,
45207,
45330,
45710,
45836,
47777,
48056,
48998,
49638,
50646,
51947,
52448,
53618,
55503,
56080,
60064,
61762,
62216,
63864,
65303,
66330,
68606,
69060,
70073,
71425,
73169,
74507,
74802,
78501,
79896,
80711,
80826,
80930,
81083,
81179,
85002,
86475,
86667,
87990,
88396,
88529,
89920
],
"plaintext_end_byte": [
1082,
2145,
2967,
3694,
5900,
7605,
10185,
11657,
14245,
15689,
16377,
18611,
21252,
22092,
24410,
26176,
28232,
28886,
29357,
30963,
32134,
32569,
33111,
33712,
35047,
35556,
36354,
36630,
37424,
38149,
39477,
43437,
44177,
44692,
44935,
45206,
45329,
45682,
45828,
47738,
48020,
48961,
49599,
50645,
51946,
52422,
53577,
55502,
56038,
60038,
61707,
62172,
63863,
65260,
66329,
68571,
69031,
70072,
71396,
73146,
74391,
74738,
78500,
79841,
80646,
80825,
80929,
81026,
81123,
84944,
86422,
86615,
87918,
88326,
88506,
89860,
90033
]
} | చిత్తూరు జిల్లాలో 2012 నాటికి మొత్తం ఎన్ని చెరువులు ఉన్నాయి? | శ్రీ పొట్టి శ్రీరాములు నెల్లూరు జిల్లా | telugu | {
"passage_answer_candidate_index": [
-1
],
"minimal_answers_start_byte": [
-1
],
"minimal_answers_end_byte": [
-1
],
"yes_no_answer": [
"NONE"
]
} |
శ్రీ పొట్టి శ్రీరాములు నెల్లూరు జిల్లా, భారతదేశం లోని ఆంధ్ర ప్రదేశ్ రాష్ట్రంలో దక్షిణతీరప్రాంతపు జిల్లా. ఈ జిల్లా ముఖ్య పట్టణం నెల్లూరు. ఈ జిల్లా వరి సాగుకు, ఆక్వా కల్చర్కు ప్రసిద్ధి. ఇంతకు ముందు "నెల్లూరు జిల్లా" అనబడే ఈ జిల్లా పేరును పొట్టి శ్రీరాములు గౌరవార్ధం "శ్రీ పొట్టి శ్రీరాములు నెల్లూరు జిల్లా"గా జూన్ 1, 2008 నుండి [1] మార్చారు. నెల్లూరు జిల్లా ప్రస్తుత జిల్లా అధికారి (కలెక్టర్) రేవు ముత్యాలరాజు.[2]
జిల్లా పేరు వెనుక చరిత్ర
మనుమసిద్ధి కాలంలో ఈ ప్రాంతం సస్యశ్యామలమై అత్యధిక వరి ధాన్యపు ఉత్పత్తితో విలసిల్లేది. అందుకే ఈ ప్రాంతానికి నెల్లి ( తమిళ భాషలో వరి అని అర్ధం) పేరుమీదుగా నెల్లివూరు అనే పేరు వచ్చింది. ఈ ప్రదేశ స్థలపురాణం, చరిత్రల ప్రకారం కాలక్రమంలో నెల్లివూరు నెల్లూరుగా రూపాంతరం చెందింది. ఆంగ్లేయుల పరిపాలనా కాలంలో నెల్లూరు, ఆంధ్రప్రదేశ్లో ప్రముఖ విద్యా కేంద్రంగా ప్రసిద్ధి చెందింది.
నెల్లూరు సింహపురమని, విక్రమసింహపురమని కూడా వ్యవహరింపమడేది. ఈ పట్టణ సమీపంలోని అడవులలో సింహలు పరిమితంగా ఉన్నందువలననే యీ పేరు వచ్చిందని మరి కొందరు అభిప్రాయపడుతున్నారు. విక్రమసింహుడనే వాని ఆధీనంలో యీ ప్రాంతం వున్నదని, అందువలననే అతని పేరు తోనే ఈ ప్రాంతం అలా పిలువబడివుండవచ్చునని యింకొందరు భావిస్తున్నారు.
పూర్వం త్రినేత్రుడు లేక ముక్కంటిరెడ్డి అనే వ్యక్తికి నెల్లిచెట్టు అనగా ఉసిరిచెట్టు క్రింద వున్న శివలింగం వున్నచోట దేవాలయాన్ని నిర్మించమని కలలో వాణి తెలియచేసిందని, ఆ మేరకు ఆలయాన్ని ఆయన నిర్మించాడని చెబుతారు. కాల క్రమేణా నెల్లి నామం నెల్లూరుగా రూపాంతరం చెందిందంటారు.
జిల్లా చరిత్ర
మౌర్యులు, చోళులు మరియు పల్లవులు
మౌర్యసామ్రాజ్యం అవతరించిన పిమ్మట ఆంధ్రప్రదేశ్ లోని అనేక ప్రాంతాల మాదిరి నెల్లూరు కూడా మౌర్యుల ఆధీనంలోకి వచ్చింది. అప్పటి వరకు నెల్లూరు క్రీ.పూ 3వ శతాబ్దం నుండి అశోకసామ్రాజ్యంలో ఒక భాగంగా ఉండేది. నెల్లూరు ప్రాంతంలో ఉన్న గుహలలో చెక్కబడిన శిలాక్షరాలు అశోకచక్రవర్తి సమంలో ఉపయోగించిన బ్రాహ్మీ లిపిలో ఉండడం ఇందుకు ఆధారము. భారతదేశ దక్షిణ ద్వీపకల్పంలో చోళుల సామ్రాజ్యం అత్యంత ప్రాముఖ్యత సంతరించుకుంది. చోళులు ప్రారంభదశ క్రీ.శ 1వ శతాబ్దం నుండి 4వ శతాబ్దం వరకు సాగింది. చోళులు ప్రారంభ శిలాశాసనాలు క్రీ.శ 1096 నుండి కనిపెట్టబడ్డాయి. జమ్మలూరులో లభించిన శిలాశాసనాలు ఇందుకు నిదర్శనం. మొదటి చక్రవర్తి అలాగే చాలా ప్రఖ్యాతి కలిగిన కరికాలచోళుని సామ్రాజ్యంలో ఈ జిల్లాను ఒక భాగంగా ఉండేది. కరికాలచోళుడు కావేరీనది మీద అద్భుతమైన కల్లణై ఆనకట్టను నిర్మించి తన నిర్మాణ కౌశలాన్ని చాటుకున్నాడు.
పల్లవ, చేర, పాండ్య రాజ్యాల నుండి 9వ శతాబ్దం వరకు సాగించిన నిరంతర దాడుల వలన చోళ సామ్రాజ్య పతన దశ ఆరంభం అయింది. సింహవిష్ణు పల్లవ రాజు చోళులను బయటకు తరిమి క్రీ.శ 4వ శతాబ్దం నుండి 6వ శతాబ్దం వరకు నెల్లూరు మీద తన ఆధిపత్యం ప్రతిష్ఠించాడు. పల్లవుల రాజకీయ అధికార కేంద్రం ఉత్తర భూభాగంలో క్షీణించి అక్కడి నుండి దక్షిణ భూభాగం వైపు కొనసాగింది. ఉదయగిరిలో పలు పాలవ, చోళ ఆలయాలు నిర్మించబడ్డాయి. గుంటూరు మరియు నెల్లూరు జిల్లాలలో పల్లవ మరియు చోళుల పాలనగురించిన అనేక శిలాశాసనాలు లభించాయి. వీటిలో ఉండవల్లి గుహలలో ఉన్న నాలుగంతస్థుల గుహలు ఉన్నాయి. భైరవకోనలో ఉన్న పాలవ శిల్పకళా శైలిని ప్రతిబింబిస్తున్న 8 గుహాలయాలు మహేంద్రవర్మ పాలనా కాలంలో నిర్మించబడ్డాయి.
బుద్ధుని కాలమునందు నెల్లూరు గుత్తి, కడప, కందవోలు మండలములును కృష్ణానదికి దిగువనుండు దేశమును కృష్ణాగోదావరుల నడుమనుండు దేశమును వజ్రభూమిగా (Diamond fields) వ్యవహారమునందుండెను. ఆ కాలమునందు నాంధ్రదేశము లోని జనులును, కళింగా దేశము లోని జనులును నొక్క తెగలోనివారుగ గన్పట్టుచున్నారు. కళింగదేశమునందు ప్రసిద్ధములయిన రెండు రేవుపట్టణములు గలవని చీనా బర్మాదేశస్థులు వ్రాసిన చరిత్రము వలన దెలియుచున్నది. మఱియు ఉత్తర పినాకినీ నదీ ముఖద్వారమున నొక రేవుపట్టణముండినట్లుగ బౌద్ధుల గాథలయందు దెల్పబడియున్నది. బుద్ధుని శిష్యుడగు పూర్ణుడను బ్రాహ్మణుని సోదరుడొకడు మూడు వందల జనులతో సూర్పరాక పట్టణమునుండి (పశ్చిమతీరము లోని కొంకణదేశము లోనిది) యోడనెక్కి లంకాద్వీపమును జుట్టివచ్చి పై జెప్పిన ఉత్తర పినాకినీ ముఖద్వారము లోని రేవుపట్టణము కడ దిగెనని బౌద్ధులగాథలవలన దెలియుచున్నది. బుద్ధుని కాలమునందాంధ్రదేశమిట్టి నారగికతా చిహ్నములను వహించియుండినను దేశము విశేషభాగమరణ్యభూమిగానే యుండెనని చెప్పవలసియున్నది. ఇంతకన్న బుద్ధునికాలమునందాంధ్రదేశమును గూర్చిన చారిత్రము సవిస్తరముగా దెలియరాదు.
నెల్లూరు చోళరాజులు
నెల్లూరు రాజకీయపరంగా శిఖరాగ్రాన్నందుకున్న సమయంలో మంత్రిగా పనిచేసిన తిక్కన సోమయాజి ప్రఖ్యాతి చెందిన కవిగా కూడా పేరుపొందాడు. ఆయన మహాభారతాన్ని ఆంధ్రీకరించి చరిత్రలో తనకూ తనకుంటుంబానికి శాశ్వత కీర్తిసంపాదించాడు. ఆయన ఇతర రచనలు నిర్వచనోత్తర రామాయణము. తెలుగు చోళులలో ఒక శాఖ మరియు కల్యాణీకి చెందిన చాళుక్యులు కలిసి ఐక్యంగా వీరిని చోళ, చాళుక్య యుద్ధాలలో సహాయం చేసె నిమిత్తం ఇక్కడ పాకనాడు పాలకులుగా నియమించారు. వారు నెల్లూరు (విక్రమసింహపురిని)ను రాజధానిగా చేసుకుని నెల్లూరు, కడప, చిత్తూరు మరియు చెంగల్పట్టు ప్రాంతాలను పాలించారు.
తిక్కా (1223-1248) హొయశిల మరియు పాండ్యులను ఓడించి తొండైమండలాన్ని స్వాధీనపరచుకుని చోళస్థాపనాచార్యా బిరుదును పొందాడు. రెండవ మనుమసిద్ధి తరువాత వచ్చిన రాజ్యపాలకుడు తిక్కా కుమారుని పరిపాలనా కాలంలో (1223-1248) నెల్లూరు ఇతర చోళ మరియు చాళుక్యుల దాడులను అనేమమార్లు ఎదుర్కొంది. తిక్క కాకతీయ రాజైన గణపతిదేవుడిని కలుసుకుని రాజుకు సైన్యసహకారం సంపాదించాడు. 1260లో మనుమసిద్ధికి కనిగిరికి చెందిన ఎర్రగడ్డపాడు రాజప్రతినిధి కాటమరాజుకు మధ్య వంశకలహాలు చెలరేగాయి. ఇద్దరి రాజకుమారుల మధ్య పచ్చిక భూములలో పశువులను మేపడానికి హక్కుల కొరకు వివాదాలు చెలరేగాయి. ఈ కలహాలు చివరకు పెన్ననది తీరంలో ముత్తుకూరు సమీపంలో ఉన్న పంచలింగాల వద్ద జరిగిన ఘోరయుద్ధానికి దారితీసింది. మనుమసిద్ధి సైన్యాలు ఖడ్గతిక్కన సైన్యాధ్యక్షతలో సాగాయి. కవి తిక్కన మేనల్లుడైన ఖడ్గతిక్కన యుద్ధంలో విజయం సాధించాడు కాని నాయకుడు పరమపదించాడు. ఈ వంశకలహాలు యుద్ధఫలితాలు కాటమరాజు కథ అనే యక్షగానరూపంలో ప్రజలమధ్య ప్రచారం అయింది. ఈ యుద్ధానికి అనంతరం కొద్ది కాలానికే మనుమసిద్ధి మరణంతో నెల్లూరు తన ప్రత్యేక గుర్తింపును కోల్పోయింది.
కాకతీయులు, పాండ్యులు, విజయనగరవాసులు
కాకతీయులు, పడమటి కల్యాణీ చాళుక్యుల పాలెగాళ్ళు బలంపుంజుకుని స్వాతంత్ర్యం ప్రకటించుకున్నారు. కాకతీయసామ్రాజ్యానికి చెందిన గణపతిదేవా అత్యధికమైన తెలుగు ప్రాంతాన్ని తన ఆధీనంలోకి తీసుకువచ్చాడు. 13వ శతాబ్దంలో నెల్లూరు కాకతీయసామ్రాజ్యంలో ఒక భాగం అయింది. రెండవ ప్రతాపరుద్రుడు పాండ్యుల చేత ఓడించబడే వరకు నెల్లూరు ఆధిపత్యం కాకతీయులు మరియు పాండ్యుల మధ్య మారుతూ వచ్చింది. కాకతీయసామ్రాజ్యపతనం తరువాత నెల్లూరు భూభాగం మీద తుగ్లక్ ఆధిపత్యంలోకి వచ్చింది. తరువాత నెల్లూరు కొండవీటి రెడ్ల ఆధిపత్యంలోకి మారింది.
14వ శతాబ్ధానికి నెల్లూరు జిల్లాలోని అధికప్రాంతం విజయనగర సామ్రాజ్యపు సంగమరాజ్యంలో చేరింది. క్రీ.శ 1512లో మిగిలి ఉన్న ఉదయగిరిని విజయనగర చక్రవర్తి శ్రీకృష్ణదేవరాయలు జయించి స్వాధీనపరచుకున్నాడు. విజయనగర రాజుల చేత నిర్మింపబడిన శిథిలమైన కోటభాగాలు ఇంకా ఉన్నాయి.
నెల్లూరు మండలములోని దర్శి వంశపు రాజులు కూడా నాగజాతి వారని తెలియుచున్నది. పదునేనవ శతాబ్ద ప్రారంభమున దర్శి పట్టణపు రాజగు ఆసనదేవమహారాజు తన తల్లి ఆర్యమదేవి పేరిట నొక చెఱువు త్రవ్వించి శాలివాహన శకము 1357వ సంవత్సరముననగా క్రీస్తు శకము 1435-36వ సంవత్సరమున నొక శాసనము వ్రాయించెను. దానిలో గొంకరాజు మొదలుకొని తన వంశమును వర్ణించుకొనియుండెను. ఆ శాసనమునందు గొంకరాజును ఫణీంద్రవంశజుడనియు, నాగవంశోద్భవుడనియు నభివర్ణించెను. ఈ గొంకరాజు యొక్క మనుమడయిన నాగరాజును కాకతీయ గణపతి రాజులకు సామంతుడుగనుండిన నాగదేవుడును నిరువురు నొక్కరేయై యుందురేమో యింకను విచారింపవలసియున్నది. ఈ పైన వ్రాసిన యంశములనుబట్టి నాగులనియెడి యొక జాతివారు పూర్వకాలమున నుండిరనియు, ఒకప్పుడు వారలీ భరతఖండమునంతయు నాక్రమించి పాలించి యుండిరనియు దేటపడకమానదు. ఇంకను వారలకును నాంధ్ర దేశానికినుగల సంబంధమును దెలిపెడి గాథలను దెలిసికొన్నచో నాగులను గూర్చి యభిప్రాయము మఱికొంత బలపడకమానదు.
నవాబులు మరియు బ్రిటిష్ కాలం
విజయనగరసామ్రాజ్య పతనం తరువాత ఈ ప్రాంతం నవాబుల ఆధీనంలోకి చేరింది. 1753లో నెల్లూరు అర్కాటు నవాబు తమ్ముడైన నజీబుల్లాహ్ పాలనలోకి మారింది.
మచిలీపట్నం నుండి ఫ్రెంచి వారు మద్రాసు నుండి బ్రిటిష్ వారు నజీబుల్లాహ్ మరియు ఆర్కాటునవాబులకు సహకరించగా నెల్లూరు ప్రాంతం అనేక యుద్ధాలకు సాక్ష్యంగా నిలబడింది. 1762లో బ్రిటీష్ సైన్యాలు నెల్లూరును స్వాధీనపరచుకొనడంతో ఆర్కాటునవాబు హస్తగతం అయింది. 1781 నాటికి అదాయ పంపిణీ వ్యవహారంలో భాగంగా నవాబు అజమ్ ఉద్ దౌలా మిగిలిన నెల్లూరు భాగాన్ని ఈస్టిండియా కంపెనీకి తిరిగి ఇచ్చాడు. నెల్లూరు జిల్లాను స్వాధీనపరచుకున్న ఈస్టిండియా కంపెనీ డైటన్ను మొదటి కలెక్టర్గా నియమించింది. నెల్లూరు జిల్లా ఆదాయకేంద్రంగా ప్రకటించబడింది. 1838లో కర్నూలు నవాబు ప్రభుత్వానికి వ్యతిరేకంగా ఉదయగిరి జాగీరు విషయంలో పన్నిన కుట్ర మినహా నెల్లూరు జనజీవితంప్రంశాంతగా సాగింది . బ్రిటిష్ ప్రభుత్వాధీనంలోకి వచ్చిన తరువాత నెల్లూరు జిల్లా న్యాయవ్యవస్థలో అంతగా మార్పులు జరుగ లేదు. 1904లో ప్రత్యేక గుంటూరు జిల్లా ఏర్పడిన తరుణంలో ఒంగోలు ప్రాంతం గుంటూరులో చేర్చబడింది.
స్వాతంత్ర్యం ముందు
నెల్లూరుకు విక్రమసింహపురి అనే పేరు కూడా ఉంది. విక్రమసింహ మహావీర, మనుమసిద్ధి మహారాజు సింహపురి రాజధానిగా నెల్లూరు ప్రాంతాన్ని పరిపాలించాడు. మహాభారతాన్ని తెనిగించిన కవిత్రయంలో ఒకడైన,కవి బ్రహ్మ,ఉభయ కవిమిత్రుడు కవి తిక్కన, ఇతని వద్దే ప్రధాన మంత్రిగా పనిచేశాడు. ఖడ్గ తిక్కన ఇతని రక్షణామాత్యుడు.
ఈ ప్రాంతంలో క్వార్త్జైట్ అనే ఒక ప్రత్యేక తరహా ఫ్లింటు రాళ్లు విరివిగా లభిస్తాయి. వీటితో ఆదిమానవులు తమ ఆయుధాలు, పనిముట్లు తయారు చేసే వారు. మగధ సామ్రాజ్య స్థాపన తరువాత ఈ ప్రాంతం మీద కూడా మగధ ప్రభావం ఉండినట్లు తెలుస్తున్నది. క్రీ.శ.3వ శతాబ్దములో నెల్లూరు అశోకుని సామ్రాజ్యంలో భాగమైంది. ఆ తరువాత 4వ శతాబ్దం నుండి 6వ శతాబ్దం వరకు జిల్లా పల్లవుల పాలనలో ఉంది. 7వ శతాబ్దం ప్రారంభంలో ఉత్తరాన పల్లవుల ప్రాభవం తగ్గి, అధికారం క్షీణించి, దక్షిణానికి పరిమితమైపోయారు. ఆంగ్లేయుల పరిపాలనలో జిల్లా శాంతియుతంగా ఉంది. ఈ కాలంలో రాజకీయ ప్రాముఖ్యత కలిగిన ఒకే ఒక సంఘటన 1838లో బ్రిటీషు పాలకులకు వ్యతిరేకంగా కర్నూలు నవాబు పన్నిన తిరుగుబాటు కుట్రలో పాలుపంచుకొన్నందుకు ఉదయగిరి జాగిర్దారు నుండి ఉదయగిరి జాగీరును లాగివేసుకోవటం. జిల్లా నేరుగా బ్రిటిషువారి పాలనలో వచ్చిన తర్వాత, 1904లో ఒంగోలు తాలుకాను అప్పుడే కొత్తగా ఏర్పడిన గుంటూరు జిల్లాకు బదిలీ చేయటం తప్ప జిల్లాలో పెద్ద మార్పులేమీ జరగలేదు.
స్వాతంత్ర్యం తరువాత
నెల్లూరు జిల్లా, 1953 అక్టోబర్ 1 దాకా సంయుక్త మద్రాసు రాష్ట్రం లో భాగంగా ఉంది. 1956 నవంబర్ 1 న భాషాప్రయుక్తంగా రాష్ట్రాల పునర్విభజన జరిగినపుడు జిల్లా ఆంధ్రప్రదేశ్ రాష్ట్రం కిందికి వచ్చింది. నెల్లూరు 1953 అక్టోబర్ 1 వరకు సంయుక్త మద్రాసు రాష్ట్రంలో ఒక భాగం. 1956 నవంబర్ 1వ తారీఖున భాషాప్రయుక్త రాష్ట్ర ఏర్పాటు జరిగిన తరువాత నెల్లూరు ఆంధ్రప్రదేశ్ రాష్ట్రంలో ఒక భాగం అయింది. ఆంధ్రప్రదేశ్ రాష్ట్ర అవతరణలో నెల్లూరు ప్రధాన పాత్ర వహించింది. తెలుగు స్వాతంత్ర్య సమరయోధుడు మరియు దేశభక్తుడు అయిన పొట్టి శ్రీరాములు ఆమరణ నిరాహార దీక్ష వహించి ప్రాణత్యాగం చేసిన ఫలితంగా ఆంధ్రప్రదేశ్ అవతరణతో సంయుక్త భారతదేశంలో భాషాప్రయుక్త రాష్ట్ర ఏర్పాటుకు దోహదం చేసింది.
నెల్లూరు ప్రజలు స్వాతంత్ర్య సమరంలో పాల్గొనడమే కాక తెలుగువారికి ఒక ప్రత్యేక రాష్ట్రం ఏర్పడడానికి పాటుపడ్డారు. గుర్తించతగిన స్వాతంత్ర్య సమరయోధులు ముతరాజు గోపాలరెడ్డి మరియు పొట్టి శ్రీరాములు. నెల్లూరు ప్రజలు రాజకీయాలలో సైతం చురుకు అయిన పాత్ర వహంచారు. నెల్లూరు జిల్లా నుండి ఇద్దరు ముఖ్య మంత్రులు రాష్ట్రపాలన సాగించారు. బెజవాడ గోపాలరెడ్డి మరియు నేదురుమల్లి జనార్ధన రెడ్డి నెల్లూరు నుండి ముఖ్యమంత్రులుగా నియమించబడ్డారు. నెల్లూరు జిల్లా ప్రధాన రాజకీయ పార్టీలు కాంగ్రెస్ మరియు తెలుగుదేశం. పొరుగు జిల్లాలు అయిన ఒంగోలు మరియు వైఎస్ఆర్ జిల్లాలతో పోలిస్తే నెల్లూరులో కమ్యూనిస్ట్ పార్టీ అనుచరులు అధికమే. ప్రముఖ కమ్యూనిష్టు అయిన పుచ్చపల్లి సుందరయ్య తనజీవితాన్ని మరియు ఆస్తులను కూడా నెల్లూరు జిల్లాలో ఆర్థికంగా అంతగా బలంగా లేని కమ్యూనిష్టు పార్టీకి అంకితం చేసాడు.
నెల్లూరు జిల్లాలో ప్రజాసేవకు కావలసిన మహారాజ పోషకులు ఉన్నారు. వారిలో గుర్తించతగిన వారు టౌన్ హాలు మరియు శిశు వైద్యశాల నిర్మాణం చేసిన రేబాల లక్ష్మీనరసా రెడ్డి ఒకరు. రెండ వారు నెల్లూరు జిల్లాలో మొదటి కళాశాల నిర్మాణం చేసిన వెంకట గిరి రాజు మరొకరు.
1919 సెప్టెంబరులో జరిగిన నెల్లూరు జిల్లా సదస్సులో 1919 ఏప్రిల్ 13న జరిగిన జలియన్ వాలాబాగ్ మారణ కాండకు నిరసనగా టంగుటూరి ప్రకాశం ప్రాథమిక హక్కుల్ని ప్రకటించాలని డిమాండ్ చేశాడు.
భౌగోళిక స్వరూపం
నెల్లూరు బంగాళాఖాతము పశ్చిమతీరములో ఉంది. నెల్లూరుకు దక్షిణ సరిహద్దులో తమిళనాడు రాష్ట్రం ఉంది. పడమటి సరిహద్దులో వైఎస్ఆర్ జిల్లా ఉంది. ఉత్తర సరిహద్దులలో ప్రకాశం జిల్లా ఉంది. తూర్పు కనుమల తూర్పుదిశగా సముద్రతీరంవైపు విసరించి ఉంది. నెల్లూరు జిల్లా మొత్తం వైశాల్యం 13,076 చరరపు కిలోమీటర్లు (5,049 చదరపు మైళ్ళు). పడమటి సరిహద్దులలో వైఎస్ఆర్ జిల్లాకు చెందిన వెలిగొండ కొండలు ఉన్నాయి. జిల్లా పెన్నానది వలన రెండుగా చీల్చబడి ఉంది. పెన్నానది ఉత్తర మరియు దక్షిణ తీరాలు రెండూ జిల్లాలోనే ఉన్నాయి. ఇది సరాసరి ఫిలిప్పైన్ ద్వీపానికి సమానము. నెల్లూరు జిల్లా సముద్రమట్టానికి 19 మీటర్ల (62 అడుగుల)ఎత్తులో ఉంది.
నెల్లూరు జిల్లాలోని సగభాగం మాగాణి పంటలకు అనువైనది. మిగిలిన సగభాగం రాళ్ళతో కూడిన భూమి. నెల్లూరు సముద్రతీర ప్రాంతం ఇసుక భూములతో అడవులతో నిండి ఉంటుంది. అవి ప్రయాణానికి అనువైనవి కాదు. వీటిని ఎక్కువగా నీటి పారుదలకు మాత్రమే ఉపయోగిస్తారు. పెన్నానది ఉపనది అయిన కండలేరు మరియు బొగ్గేరు మిగిలిన ప్రాంతాన్ని సారవంతం చేస్తున్నాయి. నెల్లూరు జిల్లా ప్రాచీనమానవుడు ఆయుధాలకు మరియు అగ్నిని రగల్చడానికి ఉపయోగించే చెకుముకి రాళ్ళ ఖనిజాలకు ప్రసిద్ధి.
వాతావరణము
శీతాకాలం: జనవరి నుండి ఫిబ్రవరి వరకు.
వేసవి: మార్చి నుండి మే.
నైరుతీ ఋతుపవనాలు: జూన్ నుండి సెప్టెంబరు వరకు.
ఈశాన్య ఋతుపవనాలు: అక్టోబర్ నుండి డిసెంబరు వరకు.
వేసవి అత్యధిక ఉష్ణోగ్రత (36-46)సెంటీగ్రేడ్. శీతాకాల అత్యల్ప ఉష్ణోగ్రత (23-25)సెంటీగ్రేడ్. నైరుతీ ఋతుపవనాల వర్షపాతం 700-1000 మిల్లీమీటర్లు. నెల్లూరు తరచూ ఆయా కాలాలలో కరువుకు, వరదకు గురికావడం సహజంగా జరుగుతూ ఉంటుంది.
ఆర్ధిక స్థితి గతులు
నెల్లూరు జిల్లా పెన్ననదీ ప్రవాహక ప్రాంతం కనుక ఇక్కడ వ్యవసాయం ప్రధాన అదాయ వనరుగా ఉంది. క్రిష్ణపట్నం ఓడరేవు క్రమంగా అభివృద్ధి పధంలో సాగుతుంది. రహదారి మార్గాలు మాత్రమే రవాణాలో ప్రధాన పాత్ర వహిస్తున్నాయి.
వ్యవసాయం, ఆక్వా కల్చర్, నీటి వనరులు
నెల్లూరు జిల్లా వరి సాగుకు చాలా ప్రసిద్ధి చెందింది. ఈ ప్రాంతాన్ని భారతదేశ ధాన్యాగారం అని అంటారు. 70% ప్రజల ప్రధాన అదాయ వనరు వ్యవసాయమే ఇందులో 60% వరిని సాగు. వ్యసాయము లేక వ్యవసాయ సంబంధిత పనులు మరియు వ్యవసాయ సంబంధిత వాణిజ్యం మొదలైనవి 70% ప్రజల జీవనోపాధిగా ఉంటుంది. ప్రధాన పంటలు వరి మరియు చెరకు. నెల్లూరు జిల్లా ప్రత్యేకంగా మొలగొలుకులు అనే నాణ్యమైన బియ్యం ఉత్పత్తికి పేరు పొందింది. ఇతర పంటలలో పత్తి, నిమ్మకాయలు, నూనె గింజలు మరియు తోటసంస్కృతి గింజల ఉత్పత్తి ప్రధానమైనవి.
బంగాళా ఖాతపు తీరం వెంట చేపల, రొయ్యల పెంపకానికి (ఆక్వా కల్చర్) నెల్లూరు చాలా ప్రసిద్ధి. నెల్లూరు జిల్లా అత్యధికంగా రొయ్యల పెంపకం చెయ్యడ కారణంగా భారతదేశ రొయ్యల కేంద్రంగా ప్రసిద్ధి పొందింది.
నీటి వనరులు
వెలికొండలు (తూర్పు కనుమలు) వద్ద పెన్నా నది మీద నిర్మించబడిన సోమశిల ఆనకట్ట, నెల్లూరు వద్ద ఆనకట్ట, సంగం వద్ద ఆనకట్ట మరియు పెన్నా నది ఉపనది అయిన పెన్నేరు మీద గండిపాలెం (ప్రస్తుత ప్రకాశం జిల్లా) వద్ద నిర్మించబడిన ఆనకట్టలు జిల్లాలోని అనేక గ్రామాలలోని వ్యవసాయానికి చక్కగా ఉపయోగపడుతున్నాయి.
జిల్లాలోని నదులు మరియు వాగులు: పిల్లివాగు, పైడేరు, పెన్న,ఉప్పుటేరు,స్వర్ణముఖి,కాళంగి,కఁడలేరు,బొగ్గేరు
పరిశ్రమలు
వ్యవసాయం తరువాత అధికమైన ప్రజలు చేనేత పని మీద అధారపడి జీవిస్తున్నారు. స్వచ్ఛమైన జరీతో నేయబడిన వెంకటగిరి మరియు పాటూరి నూలు మరియు సిల్కు చీరలు అత్యంత ప్రాచుర్యం పొందాయి. నెల్లూరుజిల్లాలో వెంకటగిరి మరియు పాటూరు సాంస్కృతిక చేనేతవస్త్రాల ఉత్పత్తికి ప్రధాన కేంద్రాలు.
ప్రధాన పరిశ్రమలు:-
శ్రీహరికోట అంతరిక్ష కేంద్రం.
కోవూరు ధర్మల్ ప్లాంటు. (ప్రస్తుతం పని చేయడం లేదు)
నెల్లూరు నిప్పో బ్యాటరీస్ ఫ్యాక్టరీ.
బాలాజీ స్టీల్, నెల్లూరు.
గూడూరు మరియు సైదాపూరు మైకా గనులు.
అడిదాస్ ఆపాచే, తడ.
కృష్ణపట్నం ధర్మల్ స్టేషను.
కృష్ణపట్నం పోర్ట్ ట్రస్ట్.
శ్రీ సిటీ,తడ,సూళ్ళూరుపేట
నెల్లూరుకు 20 కిలోమీటర్ల దూరంలో ఉన్న క్రిష్ణపట్నం ఓడరేవు ప్రధాన రేవుపట్టణమే కాక వాణిజ్యకేంద్రంగా అభివృద్ధి చెందుతూ ఉంది. ఈ ఓడరేవు ప్రపంచ ప్రసిద్ధ డీప్- వాటర్ పోర్ట్ (లోతైన నీటి రేవు)గా ఔతుందని ఎదురు చూడబడుతుంది. ఇనుప మిశ్రమ లోహం మరియు గ్రానైట్ క్రిష్ణపట్నం నుండి చైనా వంటి ఇతర దేశాలకు ఎగుమతి ఔతున్నాయి. వెంకటా చలం నుండి ప్రధాన రైలు మార్గానికి ఇక లింకు ఉంది. నెల్లూరుకు 80 కిలోమీటర్ల దూరంలో ఉన్న తడ వద్ద అడిదాస్ ఫ్యాక్టరీ మరియు టాటా లెదర్ పార్క్ కొత్తగా నెల్లూరు జిల్లాలో స్థాపించబడిన పరిశ్రమలు.
అభివృద్ధి పధంలో సాగుతున్న ప్రణాళికలు
క్రిష్ణపట్నం వద్ద లెదర్ పార్క్ అభివృద్ధి చేయబడుతుంది. ఈ రేవును ప్రధాన రైలు మార్గంతో కలపడానికి క్రిష్ణపట్నం నుండి నిర్మించబడుతున్న రైలు మార్గం ఓబులవారి పల్లె వద్ద ప్రధాన రౌలు మార్గంలో కలపబడుతుంది. ఈ రైలు మార్గం వెంకటాచలం వద్ద ప్రధాన రైలు మార్గంతో కలుపబడుతుంది. మధుకాన్ గ్రూప్కు చెందిన 900 మెగావాట్ల ఉత్పత్తి చేస్తున్న సింహపురి పవర్ ప్లాంటు, 1000 మెగావాట్ల విద్యుతుపత్పత్తి చేస్తున్న కెసిపి పవర్ ప్లాంట్, 1000 మెగావాట్ల విద్యుతుపత్తి చేయగలిగిన మీనాక్షీ & ఇతరాలతో ఒక్కోటి 4000 మెగా వాట్ల వద్యుత్తును ఉత్పత్తి చేయకలిగిన రెండు విద్యుద్తుపత్తి కేంద్రాల నిర్మాణం క్రిష్ణపట్నం సమీపంలో జరుగుతుంది. సమీపకాలంలో నెల్లూరులోని రేగడి చిలక వద్ద ఐఎఫ్ఎఫ్సి ఎరువుల కర్మాగారానికి ప్రభుత్వ అనుమతి లభించింది. కేంద్ర ప్రభుత్వం క్రిష్ణపట్నం వద్ద పెట్రో కెమికల్ టెర్మినల్ స్థాపించడానికి ప్రణాళిక వేస్తుంది. నాయుడు పేట వాద్ద ఉన్న వెంకటగిరి సమీపంలో ఉన్న మేనకూరు వద్ద రెండు టెక్స్టైల్ పార్క్ (వస్త్ర ఉద్యానవనం)లని నిర్మించే ప్రణాళిక ఆలోచనలో ఉంది. ఐఎఫ్ఎఫ్సి త్వరలో నెల్లూరులో వ్యవసాయ ఆధారిత ఫుడ్ ప్రొసెసింగ్ స్పెషల్ జోన్ (సెజ్)స్థాపించాలని ప్రణాళిక వేస్తున్నది. లార్డ్ స్వరాజ్ పౌల్ మార్గదర్శం చేస్తున్న కపారో గ్రూప్ 3,500 కోట్ల ఆటో స్పెషల్ ఎకనమిక్ జోన్ స్థాపించాలని ఆలోచిస్తుంది. అలాగే కార్లు మరియు ఏరో స్పేస్ కాంపొనెన్ట్స్ తయారీ సంస్థ స్థాపన కొరకు ప్రణాళిక చేస్తున్నది. ఆర్కెకెఆర్ స్టీల్స్ లిమిటెడ్ పొడవైన చదునైన స్టీల్ తయారీ మరియు అమ్మకం చేస్తున్నది. అలాగే 6,200 కోట్ల పెట్టుబడితో అంకులపాటూరు వద్ద ఎస్బిఒ స్టీల్ ప్లాంట్ స్థాపించాలని ఆలోచిస్తుంది.
నెల్లూరు జిల్లా లోని నాయుడు పేట వద్ద హిందూస్థాన్ నేషనల్ గ్లాస్ & ఇండస్ట్రీస్ లిమిటెడ్ 1,000 కోట్ల పెట్టుబడితో కంటైనర్ గ్లాస్ మరియు ఫ్లోట్ గ్లాస్ తయారీ చేయాలని ఆలోచిస్తున్నది. దినముకు 600 టన్నుల ఫ్లోటింగ్ గ్లాస్ ఉత్పత్తి చేసే కర్మాగార నిర్మాణం 2012-2014 వరకూ సాగుతుందని ఊహించబడుతుంది.
నెల్లూరు జిల్లాలోని కోట టౌన్ వద్ద యోగానంద్ కుమార్ చేత కొత్త బైయోటెక్ లాబరేటరీ లాబరేటరీ తయారీలు నిర్మించాలని ప్రణాళిక ఆలోనలో ఉంది. ఈ చిన్న తరహా పరిశ్రమ 2015 నాటికి పూర్తి కాగలదని ఊహించబడుతుంది.
ఖనిజాలు
అభ్రకం ఉత్పత్తిలో అగ్రగామి. పింగాణి,ముడి ఇనుము,జిప్సం,సున్నాపురాయి నిధులున్నాయి.
డివిజన్లు లేదా మండలాలు, నియోజక వర్గాలు
రెవెన్యూ విభాగాలు - 5నెల్లూరు,కావలి,గూడూరు.నాయుడుపేట,ఆత్మకూరు
లోక్ సభ స్థానం - 1నెల్లూరు లోక్సభ నియోజకవర్గం
శాసనసభ నియోజక వర్గాలు - 10కావలి,ఆత్మకూరు, కోవూరు, నెల్లూరు పట్టణ, నెల్లూరు గ్రామీణ, సర్వేపల్లి, గూడూరు, సూళ్ళూరుపేట,వెంకటగిరి, ఉదయగిరి
మండలాలు - 46
జిల్లాను 46 రెవిన్యూ మండలములుగా విభజించారు.[3]
1.సీతారాంపురము మండలం
2.వరికుంటపాడు మండలం
3.కొండాపురం
4.జలదంకి మండలం
5.కావలి మండలం
6.బోగోలు మండలం
7.కలిగిరి మండలం
8.వింజమూరు
9.దుత్తలూరు మండలం
10.ఉదయగిరి మండలం
11.మర్రిపాడు మండలం
12.ఆత్మకూరు
13.అనుమసముద్రంపేట
14.దగదర్తి మండలం
15.ఆల్లూరు
16.విడవలూరు మండలం
17.కొడవలూరు మండలం
18.బుచ్చిరెడ్డిపాలెము మండలం
19.సంగం
20.చేజెర్ల మండలం
21.అనంతసాగరం మండలం
22.కలువోయ మండలం
23.రాపూరు మండలం
24.పొదలకూరు మండలం
25.నెల్లూరు
26.కోవూరు మండలం
27.ఇందుకూరుపేట మండలం
28.తోటపల్లిగూడూరు మండలం
29.ముత్తుకూరు మండలం
30.వెంకటాచలము మండలం
31.మనుబోలు మండలం
32.గూడూరు
33.సైదాపురము మండలం
34.డక్కిలి మండలం
35.వెంకటగిరి మండలం
36.బాలాయపల్లె మండలం
37.ఓజిలి మండలం
38.చిల్లకూరు మండలం
39.కోట
40.వాకాడు మండలం
41.చిట్టమూరు మండలం
42.నాయుడుపేట మండలం
43.పెళ్లకూరు మండలం
44.దొరవారిసత్రము మండలం
45.సూళ్లూరుపేట
46.తడ మండలం
రవాణా వ్వవస్థ
విజయవాడ, చెన్నై నగరాల మధ్యన నెల్లూరు ఉండటం వల్ల వ్యాపార కేంద్రంగా అభివృద్ధి చెందుతున్నది.
రోడ్ మార్గము
నెల్లూరు నగరం చెన్నై-కోల్ కతా జాతీయ రహదారి (NH-5) మీద చెన్నై-ఒంగోలు ల మధ్య ఉంది. ప్రస్తుతం ఈ రహదారి నాలుగు మార్గాలతో ఉంది. 2011 కల్లా ఇది ఆరు మార్గాలుగా విస్తరింపబడుతుంది. తిరుపతి, విజయవాడ, చెన్నై, హైదరాబాదు, కర్నూలు, కడప, అనంతపురం, ఒంగోలు, విశాఖపట్నం, బెంగళూరు .. మొదలగు ప్రదేశములకు ఆంధ్రప్రదేశ్ రాష్ట్ర రోడ్డు రవాణా సంస్థ బస్సులు విరివిగా ఉన్నాయి.
రైలు మార్గము
నెల్లూరు నగరం గూడూరు-విజయవాడ రైలు మార్గములో ప్రధాన స్టేషను. ఇక్కడ నుండి తిరుపతి, విజయవాడ, చెన్నై, హైదరాబాదు, విశాఖపట్నం, బెంగళూరు, న్యూఢిల్లి, హౌరా, తిరువనంతపురం, కన్యాకుమారి మొదలగు ప్రదేశములకు నిత్యం రైళ్ళ రాకపోకలు ఉన్నాయి.
జనాభా లెక్కలు
2011 జనసంఖ్య గణాంకాలలో శ్రీ పొట్టిశ్రీరాములు నెల్లూరు జిల్లా జనాభా 2,966,082. ఇది సుమారుగా ఆర్మేనియా జనసంఖ్యతో సమానం లేక అమెరికా మిసిసిపి రాష్ట్రజనాభాతో సమానం. 640 భారతీయ జిల్లాలలో నెల్లూరు జనసంఖ్యా పరంగా 12వ స్థానంలో ఉంది. నెల్లూరుజిల్లా నివాసితుల జనసాంధ్రత 1 చదరపు కిలోమీటరుకు (590/చదరపు మైలుకు)227. 2001-2011 వరకు దశాబ్ద జసంఖ్య పెరుగుదల శాతం 11.15%. స్త్రీ పురుషుల నిష్పత్తి 986:1000. అక్షరాస్యత శాతం 69.155.
జిల్లాలోని మొత్తం జనాభా 29,66,082 లో 22.45% నగరపురాలలో నివసిస్తున్నారు. సమీపకాలంలో జరిగిన అసెంబ్లీ ఎన్నికల గణాంకాల ప్రకారం నగర జనాభా 7 లక్షలకు చేరుతున్నట్లు అంచనా. జిల్లాలో అత్యధిక ప్రజలు తెలుగు మాతృభాషా మరియు వ్యవహార భాషగా మాట్లాడుతుంటారు. అదేవిదంగా దక్షిణ ప్రాంతాలు మరియు దక్షిణ తీరప్రాంతాల ప్రజలు తమిళం మాట్లాడుతుంటారు. తెలుగు మాట్లాడే వారి శాతం 92.5% ఉన్నా తమిళభాష మాట్లాడే వారి శాతం కూడా గుర్తించతగినంత ఉంది. తమిళ భాషతో కలిసిన తెలుగు భాషను మాట్లాడే వారు కూడా గుర్తించతగినంత మంది ఉన్నారు.
2001 జనాభా లెక్కల ప్రకారము జిల్లా జనసంఖ్య 26.68 లక్షలు. వీరిలో పురుషులు 13.45 లక్షలు, స్త్రీల జనసంఖ్య 13.23 లక్షలు. గ్రామీణ జనాభా 20.69 లక్షలు, పట్టణ జనాభా 5.99 లక్షలు. స్త్రీ పురుషుల నిష్పత్తి 1000: 984.[4]
సంస్కృతి
నెల్లూరు రుచికరమైన ఆహారాలకు కళాత్మ వసతులు కలిగి పెద్ద నగరాలకు సమానమైన సినిమా ధియేటర్లకు పేరుపొందినది. నెల్లూరు స్వర్ణమసూరి మరియు నెల్లూరు చేపల పులుసు అంతర్జాతీయ నాణ్యత కలిగిన ఆహారంగా గుర్తింపు పొందింది. సాధారణంగా ఆంధ్రప్రదేశ్ రాష్ట్రమంతా నెల్లూరు మెస్ పేరుతో భోజనశాలలు ఉన్నాయి. భారతదేశం లోని ఇతర రాష్ట్రాలలో కూడా వీటిని చూడవచ్చు. నెల్లూరు హోటల్స్ (భోజన శాలలు) నాణ్యత కలిగిన ఆహారాన్ని అందచేయడంలో ప్రసిద్ధి చెందాయి.
పురాణప్రశస్థి
తమిళపురాణాలను అనుసరించి ఈ నగర చరిత్ర గురించి వివిధ విశ్వాసాలు వాడుకలో ఉన్నాయి. శివుడు ఒక ఉసిరిక చెట్టు (దీనిని తమిళ భాషలో నెల్లిమరమ్ అంటారు) లింగరూపంలో దర్శనం ఇచ్చాడని విశ్వసిస్తున్నారు. పురాణ కథనం అనుసరించి ముక్కంటి రెడ్డి అనే ఆయన తన పశువులలో ఒక పశువు ప్రతి రోజూ పాలను ఇవ్వడం లేదని గమనించి ఆ పశువు పాలు ఏమౌతున్నాయని తెలుసుకోవడానికి ఆ పశువు వెంట అడవికి వెళ్ళాడు. అక్కడ ఆ పశువు ఒక రాతి మీద తన పాలను తనకు తానే కార్చడం గమనించాడు. ముక్కంటి రెడ్డికి అక్కడ శివుడు తన నిజరూపంతో ప్రత్యక్షం అయ్యాడు. ముక్కంటి రెడ్డి ఆ శిల ఉన్న ప్రదేశంలో ఆలయనిర్మాణం చేసి అక్కడి శివలింగానికి మూలశాంత ఈశ్వరుడు అని నామకరణం చేసాడు. ఈ కారణంగా ఈ నగరం నెల్లూరు అయిందని విశ్వసిస్తున్నారు. ఈ ఆలయం ప్రస్తుతం నెల్లూరు లోని మూలపేటలో ఉంది.
జిల్లాలోని అధిక ప్రజలు గ్రామాలలో నివసిస్తున్నారు. మగవారు ట్రౌజర్లు మరియు సూట్లు ధరిస్తారు. అలాగే చాలా మంది పంచలు, లుంగీలు మొదలైన సంప్రదాయ దుస్తులు కూడా ధరిస్తారు. స్త్రీలు అధికంగా చీరెలు ధరిస్తారు.
కళలు సాహిత్యము
నెల్లూరు జిల్లా ప్రముఖ కళాకారులను దేశానికి అందించింది. ప్రాచీన కవి తిక్కన సోమయాజి మరియు ఆధునిక కవి ఆత్రేయలు ఈ జిల్లావారే. ప్రాచీన కవులైన తిక్కన, మొల్ల, మారన్న, కేతన్న ఇక్కడ జన్మించిన వారే. మహాభారతఅన్ని ఆంధ్రీకరించిన కవిత్రయంలో తిక్కన రెండవ వాడు. రామాయణాన్ని తెలుగించిన రెండవ కవయిత్రి మొల్ల. తిక్కన శిష్యుడైన కేతన్న దశకుమారచరితం రచన చేసి తన గురువైన తిక్కనకు అంకితమిచ్చాడు. కేతన ఆంధ్ర భాషా భూషణం అన్న వ్యాకరణ గ్రంథరచన కూడా చేసాడు. తిక్కన మరొక శిష్యుడైన మారన్న మార్కండేయ పురాణం రచన చేసాడు. ఈ జిల్లాలో జన్మించిన రామరాజభూషణుడు కృష్ణదేవరాయుని భక్తుడు. బ్రిటిష్ కాలంలో నెల్లూరు ఒక్కటే ప్రస్తుత ఆంధ్రప్రదేశ్ లోని విద్యాకేంద్రంగా ఉండేది.
జిల్లాలో ప్రధాన వినోదం చలనచిత్రాలు. చలన చిత్ర గాయకుడైన ఎస్ పి బాలసుబ్రహ్మణ్యం నెల్లూరు జిల్లావాసియే. ప్రఖ్యాత చలనచిత్ర పాటల రచయిత ఆత్రేయను అందించిది నెల్లూరు జిల్లానే. ప్రముఖ కవి మరియు చలన చిత్ర దర్శకుడు అయిన పట్టాభి రామి రెడ్డి డజన్ మెలోడీస్ పేరిట పన్నెండు పాటల రికార్డులో చోటుచేసుకున్న పాటలను నెల్లూరులోనే రచించాడు. ఆయన ఆ పాటలను మద్రాసు మరియు నెల్లూరు నగరాలను పరిశీలించి వ్రాసాడు. ఆయన పెళ్ళినాటి ప్రమాణాలు అనే తెలుగు చలన చిత్రాన్ని నిర్మించాడు. ఆయన జాతీయ అవార్డు గ్రహీత. ఆయన సంస్కార, చండమారుత, శ్రింగారమాస మరియు దేవరకాడు చిత్రాలకు దర్శకత్వం వహించాడు. ప్రముఖ నటులైన రాజనాల, రమణారెడ్డి మరియు వాణిశ్రీ మొదలైన నెల్లూరు జిల్లా వాసులే. చలనచిత్ర గాయని ఎస్.పి శైలజ కూడా నెల్లూరు జిల్లా వాసియే. ప్రముఖ వాడకం దారుల ఉద్యమ కర్త అయిన వి టి వెంకట్రామ్ ఇక్కడి వాడే. ప్రముఖ నాటకరంగ రచయిత నిర్మాత జాగాబత్తిన నవనాధరావు నెల్లూరు జిల్లాకు చెందిన వాడు.
వాస్తుకళ
వెంకటగిరి కోట, నెల్లూరు నుండి 70 కిలోమీటర్ల దూరంలో ఉంది.
ఉదయగిరి కోట, నెల్లూరు నుండి 96 కిలోమీటర్ల దూరంలో ఉంది.
రంగనాయక ఆలయం, పెద్దదైన 29 మీటర్ల గాలి గోపురం కలిగిన 500 సంవత్సరాల చరిత్ర కలిగిన ఆలయం.
భైరవకొండ గుహలు.
శ్రీ రుక్మిణీసమేత వేణుగోపాలస్వామి ఆలయం, మూలపేట, నెల్లూరు.
శ్రీ మహావిష్ణు & మహాలక్ష్మీ ఆలయం, వెంకటాపురం వద్ద.
క్షేత్రం, క్రిష్ణారెడ్డి పల్లె గ్రామం, సిద్ధాఒపురం మండలం, రాపూరు తాలూకా, నెల్లూరుకు 64 కిలోమీటర్ల దూరంలో.
సద్గురు శ్రీ తాతయ్య స్వామి ఆశ్రమం. వెంకటాపురం వద్ద.
దిగువ శ్రీశైలంగా పిలువబడిన శివాలయం. ప్రస్తుతం దీనిని పంత్రంగం అని పిలుస్తున్నారు. నెల్లూరుకు 70 కిలోమీటర్ల దూరంలో బంగాళ ఖాతం సముద్ర తీరంలో ఉంది.
పండుగలు /తిరునాళ్ళు
నెల్లూరులో జరుపుకొనే ముఖ్యమైన పండుగలు:సంక్రాంతి,ఉగాది, వినాయక చవితి, దసరా, దీపావళి, శ్రీరామనవమి రంగనాద స్వామి తిరునాళ్ళు, బారాషహీద్ దర్గా రొట్టెల పండుగ.
పశుపక్ష్యాదులు
నెల్లూరు వృక్షజాలతో మరియు జంతుజాలంతో సమృద్ధి కలిగి ఉంది. తూర్పు కనుమల భాగం మరియి సముద్రతీరం, తడి లేని అడవులు మరియు పొదలు కలిగి ఉండడం ఇందుకు కారణం. ఇక్కడ ఉన్న జంతుజాలం అద్భుతం. నెల్లూరుకు 70-80 కిలోమీటర్ల దూరంలో సూళ్ళూరు పేట వద్ద ఉన్న పులికాట్ సరస్సు ఒక విధమైన జలసంబంధిత వలస పక్షులకు ఆశ్రయం ఇస్తుంది. ఫ్లెమింగోలు, పెయింటెడ్ స్ట్రోక్స్, గ్రే పెలికాన్స్ మరియు సీగల్స్ ఇవి కాక అనేక పక్షులకు ఇది ఆలవాలం. పులుకాట్ సరస్సు తీరంలో నేలపట్టు పక్షి సంరక్షణకేంద్రము 486 కిలోమీటర్ల దూరం విస్తరించి ఉంది. సైబేరియన్ కొంగల జాతులు 160 ఇక్కడ ఉన్నట్లు ఇది గర్వంగా చెప్పుకుంటున్నది. నేలపట్టు ప్రతి సంవత్సరం ఫ్లెమింగో ఉత్సవం జరుపుకుంటుంది.
నెల్లూరు జిల్లా ప్రఖ్యాత సరస్సులకు, సముద్రతీరాలకు మరియు ఉద్యానవనాలకు ప్రసిద్ధి పొందింది. నెల్లూరు నుండి 22 కిలోమీటర్ల దూరంలో ఉన్న కొత్త కోడూరు వద్ద సముద్రతీరం బహుసుందరమైనది. నెల్లూరుకు 14 కిలోమీఓటర్ల దూరంలో ఉన్న మైపాడు బీచ్ ఇసుక తిన్నెలకు రాక్షస అలలకు ప్రసిద్ధి. పొదలకూరు రోడు వద్ద ఉన్న నెల్లూరు లేక్ పార్క్ వద్ద బోటు సర్వీసులు మరియు రెస్టారెంట్లు పర్యాటకులను విశేషంగా ఆకర్షిస్తున్నాయి. నెల్లూరుకు 9 కిలోమీటర్ల దూరంలో మైపాడు బీచ్ మార్గంలో ఇందుకూరుపేట మండలంలోని కొత్తూరు సాయిబాబా మందిరం బాబా భక్తుల ప్రత్యేక ఆకర్షణ.
విద్యాసంస్థలు
నెల్లూరు ఉత్తమ నాణ్య కలిగిన విద్యను అందించే స్కూల్స్ కళాశాలలకు ప్రసిద్ధి. ఒక పక్క ప్రభుత్వం గ్రామీణ ప్రాంతాలకు సైతం విద్యా సౌకర్యాలను చక్కగా విస్తరిస్తంది.
ప్రస్తుతం అన్ని కళాశాలలు విక్రమసింహపురి విశ్వవిద్యాలయం నకు అనుసంధానించబడి ఉన్నాయి. మెడికల్, డేంటల్ మరియు నర్సింగ్ ఇన్స్టిట్యూట్స్ విజయవాడ లోని డాక్టర్ ఎన్ టి ఆర్ యూనివర్సిటీ ఆఫ్ హెల్థ్ సైన్సెస్</b>తో అనుసంధానించబడ్డాయి.
ప్రముఖ నారాయణా ఎడ్యుకేషనల్ సొసైటీ ప్రధాన కార్యాలయం నెల్లూరు లోనే ఉంది. నారాయణా మెడికల్ కాలేజ్ యు జి మరియు పీ జి ఉన్నత విద్యను అందిస్తున్నాయి. నారాయణా డెంటల్ కాలేజ్ తొమ్మిది వైవిధ్యమున్న విభాగాలలో డెంటల్ యు జి మరియు పీ జి విద్యలను అందిస్తుంది. నారాయణా నర్సింగ్ ఇన్స్టిట్యూట్స్, నారాయణా యోగా & నేచురోపతీ కాలేజ్, నారాయణా ఫార్మసీ, నారాయణా కాలేజ్ ఆఫ్ ఫిజియోథెరఫీ, నారాయణా ఇంజనీరింగ్ కాలేజులు, జూనియర్ కాలేజులు మరియు స్కూల్స్ దేశమంతా ఉన్నాయి. నెల్లూరు చింతారెడ్డి పాలెంలో విడిగా మెడికల్, డెంటల్ మరియు నర్సింగ్ ఇన్స్టిట్యూట్స్ స్పెషల్ ఆసుపత్రులకు అనువైన ప్రదేశం. ముప్పవరపు వెంకయ్య నాయుడు కాలేజ్ చాలా పేరున్న కాలేజి. జగన్స్ డిగ్రీ మరియు పీజి కాలేజీ కూడా అత్యంత ప్రాముఖ్యత కలిగినది.
దీని స్థాపకుడు జగన్మోహన రెడ్డి. ప్రస్తుతం ఈ కాలేజి మధుసూదన రెడ్డి ఆధ్వర్యంలో నడుస్తుంది. వారికి ఎమ్ సి అ, ఎమ్ బి ఎ మరియు ఫార్మసీకి చెందిన కాలేజులు ఉన్నాయి.
విద్యాలయాలు
విక్రమ సింహపురి విశ్వవిద్యాలయం
వెంకటగిరి రాజా కళాశాల
సర్వోదయ డిగ్ర్రీ కాలేజి
దొడ్ల కౌ శల్యమ్మ మహిళా కళాశాల
జవహర్ భారతి కాలేజి, కావలి
ఎమ్ఎస్ఆర్ కాలేజి, కావలి.
ఆకర్షణలు
జిల్లాలో పెన్నా నది ఒడ్డున ఉన్న రంగనాధ స్వామివారి ఆలయం, దగ్గరలోనే గొలగమూడిలో ఉన్న వెంకయ్యస్వామి మందిరం,ఉదయగిరి కోట, నరసింహ కొండ, పెంచల కోన, వెంకటగిరి రాజుల కోట, పినాకిని సత్యాగ్రహ (గాంధీ) ఆశ్రమం, పల్లిపాడు, మైపాడు బీచ్, శ్రీహరికోట వద్ద ఉన్న విఖ్యాతిగాంచిన రాకెట్ ప్రయోగ కేంద్రం,శ్రీ కామాక్షితాయి ఆలయం జొన్నవాడ, కృష్ణపట్నం రేవు, నేలపట్టు మొదలైన అనేక చూడదగిన ప్రదేశాలు ఉన్నాయి.
పులికాట్ సరస్సు: 500 చ.కి.మీ. విస్తీర్ణంలో విస్తరించి ఉన్న ఉప్పునీటి సరస్సు.
నెల్లూరు
పినాకిని సత్యాగ్రహ (గాంధీ) ఆశ్రమం, పల్లిపాడు
శ్రీహరికోట అంతరిక్ష ప్రయోగకేంద్రం
మైపాడు బీచ్
నేలపట్టు పక్షి సంరక్షణ కేంద్రం: సూళ్ళూరుపేట దగ్గర బూడిదరంగు పెలికన్స్ కోసం ఈ కేంద్రాన్ని ఏర్పాటు చేశారు.
రంగనాధ స్వామివారి ఆలయం
గొలగమూడిలో వెంకయ్యస్వామి మందిరం
ఉదయగిరి కోట
నరసింహ కొండ
పెంచలకోన
వెంకటగిరి రాజుల కోట
శ్రీ కామాక్షితాయి ఆలయం జొన్నవాడ
కృష్ణపట్నం రేవు.
సంగం ఆనకట్ట
శ్రీవెంగమాంబ పేరంటాళ్ళ దేవాలయం నర్రవాడ
దేవాలయాలు
నెల్లూరు జిల్లా అనేక ఆలయాలకు ప్రసిద్ధి చెందినది. వాటిలో కొన్ని అద్భుతమైనవి.
శ్రీ తల్పగిరి రంగనాథస్వామి ఆలయం - పెన్నా నది ఒడ్డున ఉంది. ఇది ప్రపంచంలోనే ఉన్న మూడు రంగనాధ స్వామి దేవాలయాల్లో ఒకటి (మిగిలినవి శ్రీరంగం, శ్రీరంగపట్టణం).
శ్రీ మూలస్థానేశ్వర స్వామి ఆలయం, నెల్లూరు
భగవాన్ శ్రీశ్రీశ్రీ వెంకయ్యస్వామి గొలగమూడి
శ్రీ కామాక్షితాయి ఆలయం, జొన్నవాడ
శ్రీ లక్ష్మీనృసింహస్వామి ఆలయం, నరసింహ కొండ
చంగాళ్లమ్మ గుడి, సూళ్లూరుపేట
పెనుశిల నరసింహస్వామి ఆలయం, పెంచలకోన
సోమేశ్వర స్వామి ఆలయం, సోమశిల
జ్వాలాముఖి అమ్మవారు, నెల్లూరు జిల్లా.
ఘటిక సిద్దేశ్వరం, నెల్లూరు జిల్లా.
సాయిబాబా గుడి, నెల్లూరు
శ్రీ కృష్ణ మందిరం, మొల్లూరు, మంత్తుకూరు (మం), నెల్లూరు జిల్లా.
క్రీడలు
నెల్లూరు జిల్లాలో అధికంగా చూడబడుతున్న మరియు ఆడబడుతున్న క్రీడ క్రికెట్. కబడి, బాడ్మింటన్ మరియు వాలిబాల్ మొదలైనవి ఈతర ప్రబలమైన క్రీడలు. చెస్ మరియు కేరమ్స్ వంటి ఇండోర్ గేమ్స్ కూడా నగరంలో ప్రాబల్యత సంతరించుకున్నాయి. 1982 మరియు 1996 జాతీయ అవార్డును సాధించి అలాగే 1982 మరియు 1996 ఒలింపిక్స్ క్రీడలలో భారతదేశం తరఫున పాల్గొని ల్యూసెన్నె మరియు ఆర్మేనియా టి ఎన్ పరమేశ్వరన్ నెల్లూరు వాసియే. ప్రత్యేక సందర్భాలలో చిన్న గ్రామాలలో కోడిపందాలు మరియు ఎద్దుల పందాలు జరుగుతుంటాయి.
జిల్లాకు చెందిన ప్రముఖులు
అవధూతలు / యోగులు
భగవాన్ శ్రీశ్రీశ్రీ వెంకయ్యస్వామి (1887-1982)
యోగి రామయ్య (1895-1962)
నెల్లూరు నిత్యనందస్వామి (1864-1936)
స్వాతంత్ర్య సమర యోధులు
దిగుమర్తి హనుమంతరావు (1890-1926) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
సి.వి.కృష్ణ (1894-1953) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
చక్కా కొండయ్య - (1929) స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
తూములూరు అనంత పద్మనాభయ్య 1910? స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
నేదురుమల్లి బాలకృష్ణారెడ్డి (1915-78) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
పాటూరి బాలసరస్వతమ్మ - స్వాతంత్ర్య సమర యోధురాలు
గండవరపు హనుమరెడ్డి - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
రాళ్ళపల్లి రామ సుబ్బయ్య - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
దువ్వూరి బలరామిరెడ్డి - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
నాయిడి పట్టాభిరామిరెడ్డి - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
చుండి జగన్నాధం - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
పాటూరి సుబ్బరామయ్య - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
పొణకా కనకమ్మ (1892-1963) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధురాలు, సుప్రసిద్ద సంఘసేవిక - శ్రీ కస్తూరిదేవి విద్యాలయ వ్యవస్థాపకురాలు
ఓరుగంటి మహలక్ష్మమ్మ - పొణకా కనకమ్మతో కలసి పనిచేసారు
నూకలపాటి వెంకటపతి రెడ్ది (1888-1953) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
ఏనుగ వెంకట నరసారెడ్డి (1892- ) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
రాయపూడి దేవదానం (1924- ) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
దామవరపు మరియన్న ( ) - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
రేబాల లక్ష్మినరసారెడ్డి - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
లేబురి సుబ్బిరామిరెడ్డి బుచ్చిరెడ్డిపాళేం - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
బత్తెన రామక్రిష్ణారెడ్డి ఆల్లూరు - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
ఓరుగంటి వెంకట సుబ్బయ్య కావలి - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
వింజమూరి చంచయ్య - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
బొమ్మ శేషురెడ్డి - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
ఇంద్రగంటి సుబ్రహ్మణ్యం - స్వాతంత్ర్య సమరయోధుడు
కటికినేని కళ్యాణరావు, కటికినేని వెంకటరావు - వెంకటగిరి
కె.ఎల్.నారాయణరావు - వెంకటగిరి
గూడూరి శేషారెడ్డి
వేమూరి లక్ష్మయ్య ఆల్లూరు - స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు
శ్రీ పొట్టి శ్రీరాములు - (1902-1952) తెలుగుజాతి పిత, స్వాతంత్ర్య సమరయోధుడు మరియు భాషాప్రయుక్త రాష్ట్రాలకు పాటుబడిన వాడు.
పుచ్చలపల్లి సుందరయ్య - (1913-85) దక్షణ భారత కమ్యునిస్టు ఉద్యమ నిర్మాత
బెజవాడ రామచంద్రారెడ్డి - (1894 - 1973) స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు, మద్రాసు రాష్ట్ర శాసనసభ సభ్యులు
బెజవాడ గోపాల రెడ్డి - (1907-1997) స్వాతంత్ర్య సమర యోధుడు, ఉత్తర్ ప్రదేశ్ తొలి గవర్నర్, ఆంధ్ర రాష్ట్ర ద్వితీయ ముఖ్యమంత్రి
బెజవాడ లక్ష్మీకాంతమ్మ - స్వాతంత్ర్య సమర యోధురాలు
ఖండవల్లి కృష్ణారావు
వైద్య రంగ ప్రముఖులు
పుచ్చలపల్లి రామచంద్రారెడ్డి నెల్లూరు నగరంలో నడుస్తున్న రామచంద్రారెడ్డి ప్రజావైద్యశాల వ్యవస్థాపకుడు
జెట్టి శేషారెడ్డి - నెల్లూరు రామచంద్రారెడ్డి ప్రజావైద్యశాలలో ప్రజావైద్యునిగా ప్రజలకు ఉచిత వైద్యాన్ని అందించిన వ్యక్తి.
అల్లాడి మహదేవయ్య
డాక్టర్ లక్ష్మి
మన్నెం శేషారెడ్డి
సాంఘిక ఉద్యమ ప్రముఖులు
దూబగుంట రోశమ్మ: సారా వ్యతిరేక ఉద్యమ కారిణి
శాస్త్రవేత్తలు, పరిశోధన రంగ ప్రముఖులు
డా.ఆనుమకొండ జగదీష్
డా. కాటూరి నారాయణ
ప్రముఖు పాత్రికేయలు
జికె రెడ్డి (1922- )
కవులు -సాహితి కారులు
కవి తిక్కన్న
ఎర్రన
ఆతుకూరి మొల్ల
పుష్పగిరి తిమ్మన
శ్రీనాధుడు
నారాయణ కవి - (14?? ) పంచతంత్రన్ని తెలుగు లోనికి అనువదించారు
వేదం వేంకటరమణశాస్త్రి (1817-)
వావిళ్ళ రామస్వామి శాస్త్రి (1826-1891): సుప్రసిద్ద తెలుగు గ్రంథ ప్రచురణ కర్త. ఎన్నో అమూల్యమైన గ్రంథాలను ప్రచురించిన ఈయన భాషోద్ధారక బిరుదాంకితులు. ఆంధ్ర వాజ్మయ ముద్రణకు ఆది సరస్వతీ నిలయము (వావిళ్ళ ప్రెస్సు) ని నెలకొల్పినారు.
వజ్ఝల సీతారామశాస్త్రి - ప్రథమ పెద్దబాలశిక్ష: తెలుగుభాష విజ్ఞానకోశన్ని1820లో రచించారు
అయ్యనకోట పార్ధసారధిశెట్టి (1862-
దువ్వూరి రామిరెడ్డి- (1895 నవంబర్ 9—1947 సెప్టెంబరు 11) కవికోకిల అని ప్రసిద్ధుడైన రైతు, కవి.
బడి గురవారెడ్డి (1915-)
దావూద్ (కవి) (1920-1994 )
గుంటూరు శేషేంద్ర శర్మ (1927-2007)- ప్రముఖ సుప్రసిద్ధ కవి
దర్భా వెంకట కృష్ణమూర్తి, ఆంధ్రశాఖాధ్యక్షులు, వి.ఆర్.కాలేజి. విషాద తిమ్మరుసు రచయిత.
దుర్భా సుబ్రహ్మణ్యశర్మ
దుర్భా రామ్మూర్తి
పిశుపాటి విశ్వేశ్వరశాస్త్రి
వేదం వెంకటాచల అయ్యర్
పూండ్ల రామకృష్ణయ్య, అముద్రిత గ్రంథచింతామణి నిర్మాత
పులుగుండ్ల రామకృష్ణయ్య
ఉండేల మాలకొండారెడ్డి
ఆచార్య ఆత్రేయ
కోట సుబ్రహ్మణ్యశాస్త్రి
దీపాల పిచ్చయ్యశాస్త్రి
కె.వి.రమణారెడ్డి
నేలనూతల శ్రీకృష్ణమూర్తి (ఎన్.ఎస్.కె.)
వెన్నెలకంటి
వెన్నెలకంటి సుబ్బారావు
వేదం వెంకటరామ
పోలూరు హనుజ్జానకీరామశర్మ
రంగ రామానుజాచార్య
నేలటూరి రామదాస అయ్యంగార్
రేవూరి అనంత పద్మనాభరావు
తిక్కవరపు పఠాభిరామిరెడ్డి
గుర్రం సుబ్బరామయ్య
గుర్రం వెంకట సుబ్రహ్మణ్యం
దొడ్ల రామచంద్రారెడ్డి (డి.ఆర్.)
నెల్లూరు వెంకట రామానాయుడు
మోచర్ల రామకృష్ణయ్య
దుగ్గిశెట్టి వెంకట రమణయ్య
బండి గోపాలరెడ్డి
పెన్నేపల్లి గోపాలకృష్ణ
రాజకీయ రంగ ప్రముఖులు
బెజవాడ పాపిరెడ్డి - సోషలిస్టు నాయకుడు, లోక్నాయక్ జయప్రకాశ్ నారాయణ అనుచరుడు, తెలుగుదేశం పార్టీ ఉపాధ్యక్షుడు (1983 నుంచి 1985)
గొట్టిపాటి కొండపనాయుడు - "మనం-మనదేశం", "ఆంధ్రప్రదేశ్", "దేశదర్శిని", "నెల్లూరు దర్శిని" పుస్తకాలను రచించాడు.
పాటూరు రామయ్య మార్క్సిస్టు పార్టీ నాయకుడు
పెళ్ళి రమణయ్య—కమ్యునిస్టు పార్టీ నాయకుడు, పుచ్చలపల్లి సుందరయ్య అనుచరుడు.
ఎం.వెంకయ్య నాయుడు - భారతీయ జనతా పార్టీ మాజి అధ్యక్షులు
నేదురుమల్లి జనార్ధనరెడ్డి, మాజీ ముఖ్యమంత్రి
నేదురుమల్లి రాజ్యలక్ష్మి (మాజీ మంత్రి),
ఆనం వివేకానంద రెడ్డి
ఆనం రామనారాయణ రెడ్డి
మధు
నాటక రంగ ప్రముఖులు
తిరుపతి హరగోపాల్
పొన్నాల రామసుబ్బారెడ్డి
రేబాల రమణ
సినీరంగ ప్రముఖులు
రమణా రెడ్డి - హాస్య నటుడు
సింగీతం శ్రీనివాసరావు - దర్శకుడు
వై.వి. రావుఅలనాటి సినిమా నటుడు,దర్శకుడు
సి.పుల్లయ్య - మూగ సినిమాలలో నటుడు
ఘంటసాల రాధాకృష్ణమూర్తి- టాకీ సినిమాలలో నటుడు
ఏ.ఎం.రత్నం - సినిమా నిర్మాత, దర్శకుడు
ఎస్.పి.బాలసుబ్రహ్మణ్యం- నేపథ్యగాయకుడు, నటుడు
శ్రీపతి పండితారాధ్యుల శైలజ ఎస్.పి.శైలజ -సినిమా గాయని మరియు డబ్బింగ్ కళాకారిణి
ఆత్రేయ మనసుకవి - తెలుగు సినీ కవి
వాణిశ్రీ - కథానాయిక
మల్లెమాల సుందర రామిరెడ్డి (ఎంఎస్ రెడ్డి)- ప్రముఖ తెలుగు రచయిత మరియు సినీ నిర్మాత.
పారిశ్రామికరంగ ప్రముఖులు
జి.వి. క్రిష్ణారెడ్డి - జి వి కె గ్రూప్ వ్యవస్థాపకుడు మరియు ఛైర్మన్
తిక్కవరపు సుబ్బిరామి రెడ్డి
బొల్లినేని క్రిష్ణయ్య నాయుడు
ఆధ్యాత్మిక రంగ ప్రముఖులు
స్వామి సుందర చైతన్య
కమలానంద భారతి స్వామి
మాధ్యమం
నెల్లూరు జిల్లాలో ప్రాంతీయ పత్రికలు అనేకం ఉన్నాయి. అవి వరుసగా నెల్లూరు ఎక్స్ప్రెస్, లాయర్, జామిన్రియాట్, నెల్లూరు న్యూస్, గూడూర్ న్యూస్, నగరభేరి ఇంకా అనేకం ఉన్నాయి. వీటిలో అనేకం సాక్షి, ఈనాడు, వార్త మరియు ఆంధ్రజ్యోతి వంటి పత్రికల వలన తుడిచి పెట్టుకు పోయినా లాయర్ మరియు జామిన్రియాట్
మాత్రం ఇప్పటికీ ప్రజాదరణతో ముందుకు సాగుతున్నాయి.
నెల్లూరులో తెలుగు సినిమాలకు విపరీతమైన అభిమాన వర్గం ఉంది. పట్టణంలో చాలా సినిమా థియేటర్లు ఉన్నాయి. అదే విధముగ నెల్లూరు లోని సినిమా హాళలో ఫెసిలిటిస్ చాలా బాగుంటాయి.
బయటి లింకులు
మూలాలు
వర్గం:ఆంధ్ర ప్రదేశ్ జిల్లాలు
వర్గం:కోస్తా | https://te.wikipedia.org/wiki/%E0%B0%B6%E0%B1%8D%E0%B0%B0%E0%B1%80%20%E0%B0%AA%E0%B1%8A%E0%B0%9F%E0%B1%8D%E0%B0%9F%E0%B0%BF%20%E0%B0%B6%E0%B1%8D%E0%B0%B0%E0%B1%80%E0%B0%B0%E0%B0%BE%E0%B0%AE%E0%B1%81%E0%B0%B2%E0%B1%81%20%E0%B0%A8%E0%B1%86%E0%B0%B2%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B1%82%E0%B0%B0%E0%B1%81%20%E0%B0%9C%E0%B0%BF%E0%B0%B2%E0%B1%8D%E0%B0%B2%E0%B0%BE |