date
stringclasses 5
values | title
stringlengths 6
64
| subtitle
stringlengths 3
47
⌀ | author
stringlengths 4
56
⌀ | comment
stringlengths 1
3
⌀ | ref
stringlengths 109
465
| section
stringclasses 15
values | media
stringclasses 2
values | page
int64 1
5
| tags
stringlengths 4
118
⌀ | content
stringlengths 295
16.5k
| article_id
int64 1.57M
1.57M
|
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
2019-01-01 | মুক্তিযুদ্ধ-গবেষণার বর্ণনা তাজুল মোহাম্মদের | টরন্টোয় পাঠশালার বিজয় দিবসের আসর | উত্তর আমেরিকা অফিস | null | https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1572837/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | northamerica | print | 1 | null | দর্শন-শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান চর্চার প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠশালা’র দশম আসরটি হয়ে গেল ১৫ ডিসেম্বর. এগলিন্টন স্কয়ার টরন্টো পাবলিক লাইব্রেরিতে। বিজয় দিবস সামনে রেখে সাজানো হয় আসরটি। এবারের আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক চারণ-গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য রচনার জন্য ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০১৫’ প্রাপ্ত লেখক তাজুল মোহাম্মদ। উল্লেখ্য. গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিক থেকে অদ্যাবধি. চার দশক ধরে. চারণের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে. ক্ষেত্র অনুসন্ধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য. ইতিহাস তুলে এনে তাজুল মোহাম্মদ রচনা করেছেন ৫৫টি গ্রন্থ। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার সাধনপুর গ্রামে জন্ম তাজুল মোহাম্মদের। শিক্ষা ও চাকরিজীবন বৃহত্তর সিলেটেই। ১৯৭১ এ দক্ষিণ কুলাউড়া সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি. কুলাউড়ায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় অবস্থানে (৭৪-৭৭). সিলেট জেলা খেতমজুর সমিতির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (৮২-৯২). বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সদস্য (৮৪-৯২). বালাগঞ্জ উদীচীর সহসভাপতি ও খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সহসভাপতি ও দুটোরই জাতীয় পরিষদের সদস্য তিনি। তাজুল মোহাম্মদের নেতৃত্বে সফল খেতমজুর আন্দোলন হয়েছে সিলেটের এওলারটুক. চারখাই এবং বালাগঞ্জে। তাজুল বৃহত্তর সিলেট ইতিহাস প্রণয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তাজুল মোহাম্মদ কুরিয়ার হিসেবে কাজ করেন।তাজুল মোহাম্মদ রচিত প্রায় সব বইই মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ-সংগঠক. প্রত্যক্ষদর্শী. সহায়তাকারীদের বয়ানে গণহত্যা. মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা. আলবদর-রাজাকার-আল শামসের নারকীয় কর্মকাণ্ড. গবেষক হিসেবে নিজের তথ্য সংগ্রহের অভিজ্ঞতা. নিজে দেখা যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি ঠাঁই পেয়েছে বইগুলোতে। আর ছয়-সাতটি বই মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলার নানা ঐতিহাসিক সংগ্রামে ও সমাজ-জীবনে ভূমিকা রাখা আলোকিত ব্যক্তিত্বের ওপর। সদ্য প্রয়াত তারামন বিবির ওপর ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি. বীরপ্রতীক’ শিরোনামে তাঁর লেখা একটি বই আছে।বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাজুল মোহাম্মদের লেখালেখি শুরু আশির দশকের শুরুতে। রাষ্ট্রযন্ত্রের চরম বৈরিতা. স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হুমকি. যাতায়াত ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদির অপ্রতুলতা—এসবের মধ্যেও তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে. প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে. সাপ্তাহিক ‘সচিত্র সন্ধানী’তে ধারাবাহিকভাবে লিখতে শুরু করেন সিলেটের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে- ‘সিলেটে গণহত্যা’; যা পরে জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে। ‘সিলেটে গণহত্যা’ বইটি দিয়ে দেশজুড়ে পরিচিত হন লেখক তাজুল মোহাম্মদ। এরপর একটানা লিখে গেছেন।চারণ-গবেষক তাজুল মোহাম্মদ ঘুরেছেন গ্রামে. জনপদে। মিশেছেন অসংখ্য মানুষের সঙ্গে। বাস্তবতা থেকে আহরণ করেছেন তথ্য। ১৯৮০ থেকে এ কাজ করে চলেছেন তিনি। ঘরে বসে বইপত্র. পত্র-পত্রিকা থেকে তথ্য আহরণ নয়. একেবারে উৎসের কাছাকাছি ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ। এর ভিত্তিতে রচিত হয়েছে তাঁর অনেকগুলো গ্রন্থ। ধীমান গবেষক তাজুল মোহাম্মদ তৃণমূল পর্যায়ে অতি শ্রমসাপেক্ষ তথ্যানুসন্ধানের কাজে রয়েছেন একনিষ্ঠভাবে ব্রতী। এ কাজগুলো করতে গিয়েই তাঁর জীবনে আসে হুমকি। বাধ্য হন ১৯৯৫ সালে প্রবাস জীবন বরণ করে নিতে। বর্তমানে তিনি কানাডার মন্ট্রিয়েল প্রবাসী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সাহিত্য প্রকাশের কর্ণধার মফিদুল হক বলেন. ‘চারণের মতো ঘুরে ঘুরে আঞ্চলিক ইতিহাসের অনেক অজানা অধ্যায় তাজুল মেলে ধরেছেন সবার কাছে। তাঁর প্রতিটি গ্রন্থ সরেজমিন অনুসন্ধান. বহু মানুষের সঙ্গে আলোচনা এবং বিবিধ উপায়ে তথ্য আহরণের ফসল। ফলে তাঁর গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধ জানা-বোঝার জন্য হয়ে ওঠে অপরিহার্য। তাজুল কোনো আরাম কেদারাশ্রয়ী গবেষক নন. তিনি চারণের মতো ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেন তথ্য. অতীত ঘটনার অংশী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার ও কথোপকথনের মাধ্যমে দাঁড় করান ইতিহাসের ভাষ্য এবং এভাবে তাঁর প্রণীত প্রতিটি গ্রন্থ হয়ে ওঠে অনন্য ও বিশিষ্ট।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে ১৯৯৫ সালে. ইংল্যান্ডের টোয়েন্টি টোয়েন্টি টেলিভিশন নির্মিত আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইলে’ তাজুল মোহাম্মদের তৃণমূল গবেষণা তথ্যগুলো বিশেষভাবে সংযোজিত হয়। হাওয়ার্ড ব্রাডবার্ন এর পরিচালনায় ও রিপোর্টার ডেভিড বার্গম্যানের রিপোর্টিংয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় তথ্যচিত্রটি। ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইল’ টিমে তাজুল যুক্ত হন গবেষণা কাজে।আসরের শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাঠশালার আসরে তাজুল মোহাম্মদ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আলাপচারিতায় যোগ দেন পাঠশালার সমন্বয়ক. লেখক-অনুবাদক ফারহানা আজিম শিউলীর সঙ্গে। এই একান্ত আলোচনায় উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় সবগুলো গ্রন্থ রচনার সার কথা. তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের অভিজ্ঞতা. প্রতিনিয়ত বৈরিতা মোকাবিলার কথা।তাজুল বলেন. তিনি পরিকল্পিতভাবে কিছু শুরু করেননি। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রায় কিশোর বয়স থেকে এবং কর্মজীবনে বৃহত্তর সিলেটের নানান জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে তাঁর। সেই সময় এবং ৭৫ পরবর্তীতে আত্মগোপনে থাকার সময় তিনি প্রত্যক্ষভাবে জানতে পারেন মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও স্থানীয় দোসরদের বর্বর সব কাহিনি. দেখতে পান সিলেট জুড়ে অসংখ্য বধ্যভূমি। তাঁর মনে হয়. এ তো একটি কুঁড়ি. দুটি পাতার নয় বরং অগুনতি বধ্যভূমির সমাহার এই সিলেট। তখন থেকে তিনি গণহত্যার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং সংগ্রহ করতে শুরু করেন নানা তথ্য-উপাত্ত। ৭ বছরের সংগৃহীত তথ্যের আলোকে রচিত হয় “সিলেটে গণহত্যা” (১৯৮৯. ২০০৫)। আবার ৮৬ থেকে ৯২—এই ৬ বছরের গবেষণা অর্থাৎ মোট ১১ বছরের পরিশ্রমের ফসল আরও দুটি বই: ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মারক’ (১৯৯৭) ও ‘সিলেটের যুদ্ধকথা’ (১৯৯৯)। ওয়ার ক্রাইমস ফাইল টিমের জন্য তাঁর এক বছরের মাঠ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় দুটি গ্রন্থ: ‘যুদ্ধাপরাধীর খোঁজে নয় মাস’ (২০১২) ও ‘আলবদরের ডায়েরি’ (২০১১)।তাজুল মোহাম্মদের আলাপচারিতায় জানা যায়. এক সময় সিলেট ছাড়িয়ে প্রায় পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পদচারণা। উত্তরবঙ্গের মাঠ গবেষণার ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে - কুড়িগ্রাম’ (২০০৮). ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি বীর প্রতীক’ (২০১৮). মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত আলী ও তাঁর যুদ্ধ (২০১৬)। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল ওয়ার মিউজিয়ামের ওর্যাল হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের এক এসাইনমেন্টে তাজুল ইংল্যান্ডের লন্ডন. বার্মিংহাম. ম্যানচেস্টার. স্কটল্যান্ডের এডিনবরা. স্পেনের মাদ্রিদ ইত্যাদি এলাকায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নেন। সেগুলো সংরক্ষিত আছে সে মিউজিয়ামে। আর সেই তথ্যগুলো সংযোজিত হয় তার ‘আমাদের একাত্তর’ বইয়ে।তাজুল নিজের তথ্য সংগ্রহের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন দুটি বই। এগুলো হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে’ (২০০১) ও ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্ধানে’ (২০১৪)। ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্ধানে’র অধিকাংশ লেখাই ‘সিলেট কণ্ঠে’ ‘মুক্তিযুদ্ধের উপাত্ত সংগ্রহ’ কলামে ছাপা হয়। সেকেন্ডারি রিসোর্সেসের ওপর ভিত্তি করে লিখেছেন দুটো বই। শিমুল ফোটার ১৬ দিন (২০০৮). মার্চ ১৯৭১ (২০০৭)। এ ছাড়া লিখেছেন. মেজর আবদুস সালেক চৌধুরী বীরউত্তম ও সালদা যুদ্ধ (২০১৮). বিভীষিকাময় একাত্তর (২০১৫). এমন বর্বরতা কখনো দেখেনি কেউ (২০১৮)।স্বদেশি আন্দোলন. মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলার সব আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রাখা বৃহত্তর সিলেটের আলোকিত মানুষদের ওপর তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘সোনার মলাট’ (১৯৯০). ‘বারীণ দত্ত ও সংগ্রামমুখর দিনগুলি’ (২০০৯). ‘গোপেশ মালাকার তাঁর জীবন ও সময়’ (২০১৩). ‘সূর্যমণি দেব জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ (২০১১. সম্পাদিত). ‘সংগ্রামী সাত নারী’ (২০০৯). ‘হেনা দাস জীবন নিবেদিত মুক্তির প্রয়াসে’ (২০০৯). ‘মৃত্যুঞ্জয়ী হিমাংশু শেখর ধর’ (সম্পাদিত. ২০০৬). ‘ড. মীজান রহমান ধ্রুব জ্যোতি তুমি অন্ধকারে’ (২০১৭). ‘প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল আজিজ সম্মাননা গ্রন্থ’ (সম্পাদিত. ২০১৩). ‘মৃত্যুহীন প্রাণ আজির উদ্দিন খান’ (২০০৮) ইত্যাদি। বৃহত্তর সিলেটের সামগ্রিক আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে রচনা করেছেন ‘সিলেটের দুই শত বছরের আন্দোলন’ (১৯৯৫)। এই বইয়ের বেশ কিছুটা অংশ ‘প্রথম চা শ্রমিক আন্দোলন’ শিরোনামে ইংল্যান্ডের জেসিএসসি এবং ও লেভেলের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত। ভাষা আন্দোলনে সিলেটের সম্পৃক্ততা নিয়ে রচনা করেছেন ‘ভাষা আন্দোলনে সিলেট’’ (১৯৯৪) ও ‘ভাষা সংগ্রামীদের কথা. বৃহত্তর সিলেট’ (২০১৭)। পাঠশালার পক্ষ থেকে বলা হয়. তাজুল মোহাম্মদ. মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক প্রথম জেনারেশনের গবেষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন। বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে বুঝতে গেলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে তাজুল মোহাম্মদদের গবেষণাকর্মের কাছে বারবার যেতে হবে। ৫৫ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে একাত্তরের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি চিত্রিত করেছেন তাজুল মোহাম্মদরা. তাঁদের অক্লান্ত শ্রমের মাধ্যমে। ঐতিহাসিক ভূমিকার পাশাপাশি তাঁদের সেই সাহসী কাজের অনেকগুলোই এখন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে. করছে। তাঁদের মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক গ্রন্থগুলো সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থাগার। তাজুল রচিত বিভিন্ন জেলার মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাধারার অনুপুঙখ ভাষ্য আঞ্চলিক হয়েও বহন করছে জাতীয় তাৎপর্য. হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক দলিল. যেমন অঞ্চলের তেমনিভাবে জাতিরও বটে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিক ইতিহাসের তাৎপর্য অনুধাবনে এবং মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপ্তি. বৈশিষ্ট্য ও পরিসর বুঝতে আগ্রহী পাঠকদের কাছে অপরিহার্য বলেই গণ্য হবে তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রতিটি গ্রন্থ।তাজুল বলেন. মুক্তিযুদ্ধের পূত ইতিহাস মুছে ফেলার সব প্রক্রিয়া যখন সক্রিয়. তখন নতুন প্রজন্মের কাছে ন্যূনতম অভিঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই তার শ্রম সার্থক। ইতিহাসের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন. ‘ইতিহাসবিদদের যা করার কথা ছিল. তাজুল মোহাম্মদ সেটাই নিজ দায়িত্বে কাধে তুলে নিয়েছেন।’সাক্ষাৎকার ভিত্তিক আলাপচারিতার পর আগত সাহিত্যানুরাগীদের সঙ্গে এক আন্তরিক প্রশ্নোত্তর পর্বে মিলিত হন তাজুল মোহাম্মদ।পাঠশালার বিজয় দিবসের আসরটি শেষ হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। | 1,572,837 |
2019-01-01 | নতুন বছরে তারকাদের পরিকল্পনা কী? | null | হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572804/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%80 | entertainment | print | 1 | টেলিভিশন | শুরু হলো নতুন বছর। সবার মতো তারকাদেরও আছে বছরজুড়ে নানা পরিকল্পনা। কী সেটা? চলুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকজন তারকার ২০১৯ সালের পরিকল্পনা। এখনো ভাবছিশাকিব খান. চলচ্চিত্র অভিনেতানতুন বছর নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই। এখনো ভাবছি। দেশের চলচ্চিত্র নিয়ে. নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কী করা যায়—সবকিছু নিয়েই ভাবছি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে। বছর তো এক মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে না। পুরো ১২ মাস রয়েছে। তাই ভাবনাগুলো নিশ্চয়ই কাজে লাগানো যাবে। সবকিছু সময়মতো ভক্তদের জানাব। আপনাদের জানাব। সিনেমাটা যেন ‘ক্লিক’ করেমাহিয়া মাহি. চলচ্চিত্র অভিনেত্রীআমি এর আগে যতবার পরিকল্পনা করে বছর শুরু করেছি. সবকিছু ভেস্তে গেছে। তাই নতুন করে কিছুই পরিকল্পনা করব না। যা জরুরি মনে হয়. তা–ই করব। তবে এ বছর আমি খুব ভেবেচিন্তে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে চাই। এতে যদি আমাকে বছরে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে হয়. তাহলে তা–ই করব। কিন্তু সেটা যেন সিনেমার মতো সিনেমা হয় এবং দর্শকনন্দিত হয়। মোটকথা. সিনেমাটা যেন ক্লিক করে। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব ভালো আছি। এ রকম ভালোই থাকতে চাই। অভিনয়ে আরও মনোযোগী হতে চাইআফরান নিশো. অভিনেতাআমার খুব বেশি পরিকল্পনা নেই। যা আছে খুব সাধারণ। আমার কাজের জায়গায় আরও বেশি পেশাদার হতে চাই। কারণ. দিন যত যাচ্ছে. দায়িত্ব তত বাড়ছে। অভিনয়টা আরও মনোযোগ দিয়ে করতে চাই। আর আমরা মূলত সমালোচক ও দর্শকদের কথা চিন্তা করে অভিনয় করি। এ ক্ষেত্রে সমালোচকদের বিষয়টি মাথায় রেখে যেটা করা হয়. ওই নাটকটি খুব যত্ন নিয়ে করা হয়। কিন্তু সেটা খুব বেশি মানুষ দেখে না। এবার মানুষ যাতে এই নাটকগুলোও দেখে. সেভাবে কাজ করব। আরও বেশি মানুষের মধ্যে সেরা কাজগুলো ছড়িয়ে দেব। পড়াশোনা ও অভিনয়ের সমন্বয় করবসাবিলা নূর. অভিনেত্রীবছরটাই শুরু হচ্ছে ভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে। অভিনয় করতে যাচ্ছি একটা ভৌতিক নাটকে। এ রকম আরও কয়েকটি ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। যে চরিত্রগুলোর মাধ্যমে অনেক দিন মানুষ সাবিলা নূরকে মনে রাখবে। এ ছাড়া এ বছর পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগী হব। আমার সেমিস্টারের ফলাফলে সিজিপিএ ভালো এসেছে। এটাকে ধরে রাখতে হবে। মোটকথা. পড়াশোনা ও অভিনয় সমন্বয় করে চলব। আর এ বছর ‘না’ বলাটা শিখতে চাই। কারণ. অনেক কারণেই ‘হ্যাঁ’ বলতে হয়। সেটা এ বছর হতে দিতে চাই না। আর বিয়ে নিয়ে বলব. এ বছর আমার বিয়ে করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবু জন্ম. মৃত্যু. বিয়ে তো আমার হাতে নেই। নিজের ইউটিউব চ্যানেলটা চাঙা করবইমরান. সংগীতশিল্পীআসছে রমজান অবধি আমার গানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত। ধীরে ধীরে সেগুলো প্রকাশ করব। এতে অর্ধেক বছর পার হয়ে যাবে। তাই নতুন করে কিছু বলার বা করার নেই। তবে এ বছর আমার নতুন যে পরিকল্পনাটি রয়েছে. সেটি হলো বাছাই করা কিছু শিল্পীর গান ফিচারিং করব। তারপর সেগুলো আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করব। আর ব্যক্তিগত কিছু নেই। ভক্তরাই আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তাই তাঁদের জন্য গানটা ঠিকমতো করে যেতে চাই। দারুণ কিছু করার প্রস্তুতি নিয়েছিঐশী. সংগীতশিল্পীঅনেক গানের কাজ এগিয়ে রেখেছি। এ বছর একটা অ্যালবাম আসবে। ইচ্ছা আছে ঐশী এক্সপ্রেস ২ নামে আমার দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ পাবে। ২০১৮ সাল আমার দৌড়ের ওপর গেছে। এ বছরটা একটু গুছিয়ে নিয়ে কাজ করতে চাই। পড়াশোনার চাপও বাড়ছে। হুট করে গানের শোও বাড়ছে। দুটিই গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগোতে চাই। মোটকথা. তুমুল প্রস্তুতি নিচ্ছি নতুন বছরে দারুণ কিছু করার। | 1,572,804 |
2019-01-01 | আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপ কী? | ভূরাজনীতি | মাইকেল কুগেলম্যান | null | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572798/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%95%E0%A7%80 | opinion | print | 1 | আন্তর্জাতিক | এই মুহূর্তে জালমে খলিলজাদ সম্ভবত সুখী মানুষ নন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশেষ দূত এখন এক জরুরি মিশনে আছেন। আর সেটা হচ্ছে তালেবানের সঙ্গে শান্তি–প্রক্রিয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা। কেননা. প্রায় ১৭ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের যুদ্ধ শেষ করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খলিলজাদ এ ব্যাপারে বেশ কিছুটা এগিয়েছিলেন। তিনি তালেবান প্রতিনিধি ও মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসের গোড়ার দিকে এ ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠিত বৈঠকে আলোচনায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়। ইউএইতে বৈঠকের পর আফগান টিভি স্টেশন টোলো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খলিলজাদ তালেবানের কথা উল্লেখ করে বলেন. ‘তারা আমাকে বলেছে. আমরা আপনাদের পরাজিত করতে পারব না।’ তারা বলেছে. তারা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে. এরপর আফগানদের সঙ্গে বসবে এবং রাজনৈতিক উপায়ে এ সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু ট্রাম্পের হঠাৎ করে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা খলিলজাদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত খলিলজাদের কাজকে কঠিন করে তুলেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে ওয়াশিংটনের কাছে বিকল্প আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তালেবানদের তা–ই দিয়েছেন. যা তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল—আর সেটা হচ্ছে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি—আর এর বিনিময়ে তাদের কিছুই দিতে হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের এ ঘোষণা তালেবানদের জন্য বেহেশত থেকে পাওয়া মান্নার (সুখাদ্য) মতো। তবে মার্কিন আলোচকদের কাছে এটা তাদের পেটে মুষ্ট্যাঘাতের মতো। ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের আগে তালেবানদের আলোচনায় বসতে রাজি করানোটা ছিল কঠিন একটি ব্যাপার। ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তালেবান জঙ্গিরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে আসছে। গত তিন বছরে তালেবান বিদ্রোহীরা তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। দেশটির একটি বড় অংশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। তাই তাদের পক্ষ থেকে লড়াই বন্ধ করার কোনো কারণই নেই। তবে তালেবানরা আগে বলেছিল যে তারা যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে আফগান সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে পারে. যদি ওয়াশিংটন সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এখন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা তো এল। কিন্তু তালেবানরা আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কি না. তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে যত সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে. তাদের তালেবান অবৈধ ও ওয়াশিংটনের আজ্ঞাবহ বলে অভিহিত করেছে। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনিশ্চায়কভাবে শেষ হওয়ার পর তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে কাবুলে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন প্রার্থী আশরাফ ঘানি ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে একটি চুক্তি করেন। এই দুজন এখন বর্তমান আফগান সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাজেই যখন তালেবানদের বিবৃতিতে বলা হয় যে আফগান সরকার আমেরিকানদের দ্বারা স্থাপিত. তখন আর সেটা তাদের অহেতুক প্রলাপ বলে মনে হয় না। মনে হচ্ছে. সেনা প্রত্যাহারের ট্রাম্পের একতরফা সিদ্ধান্ত ওয়াশিংটনকে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা শুরুর তারিখ ঘোষণা করার সুযোগকে ভেস্তে দিল। তাহলে এখন ওয়াশিংটনের সামনে বিকল্প কী? আদর্শিকভাবে. ট্রাম্পের উচিত হবে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্য খলিলজাদকে আরও সময় দেওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে. ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না। কারণ. তিনি কখনোই আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতিতে স্বস্তি বোধ করেননি। ১৭ বছরের আফগান যুদ্ধে ২ হাজার ৪০০ মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কূটনৈতিক শান্তি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ম্যাটিস আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার শক্ত উপস্থিতি চেয়েছিলেন। এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের আরও বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার উপস্থিতির পক্ষে। তাঁরা চেষ্টা করছেন. এ ব্যাপারে ট্রাম্পের মত পরিবর্তন করতে অথবা সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া ধীরে করতে। ট্রাম্প হয়তো শিগগিরই আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন যেসব পদক্ষেপ নিতে পারে. সেগুলো হচ্ছে প্রথমেই ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া। শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের উচিত হবে কাবুলকে এই নিশ্চয়তা দেওয়া যে যদিও সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে. কিন্তু তারা আফগানিস্তানকে পরিত্যাগ করছেন না। ওয়াশিংটনকে এটা বলতে হবে যে তারা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে অর্থায়ন করা এবং আফগান বিশেষ বাহিনীকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে। এই পদক্ষেপ আফগানদের উদ্বেগকে প্রশমিত করবে এবং মার্কিন সেনাদের বিদায়ের পর তালেবান জঙ্গিদের সম্ভাব্য আগ্রাসনকে সীমিত করবে। দ্বিতীয়ত. ওয়াশিংটনকে তালেবানের ওপর নজর রাখতে হবে। তালেবান যাতে আল-কায়েদার সংস্রব ত্যাগ করে. তা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা. মার্কিন সেনারা চলে গেলে আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। তৃতীয়ত. ওয়াশিংটনকে চলতি বছরে অনুষ্ঠেয় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন দিতে হবে। নির্বাচনের সময় নিরাপত্তা এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা দিতে হবে। আফগান নেতৃত্বের অধীনে যদি একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়. তাহলে হয়তো তালেবানরা তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে পারে। আল–জাজিরা থেকে নেওয়া. ইংরেজি থেকে অনূদিত মাইকেল কুগেলম্যান ওয়াশিংটনের উড্রো উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের উপপরিচালক | 1,572,798 |
2019-01-01 | সন্তানদের জন্য স্যান্ড্রার চিঠি | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572785/%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A0%E0%A6%BF | entertainment | print | 1 | হলিউড | নেটফ্লিক্স অরিজিনালসের ‘বার্ড বক্স’ ছবিটি নিয়ে এখন আলোচনার শেষ নেই। এরই মধ্যে ছবিটি রেকর্ড করে ফেলেছে। নেটফ্লিক্সে এক সপ্তাহে দেখার হিসাবে ছাড়িয়ে গেল অন্য সব ছবিকে। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্যান্ড্রা বুলক। তিনি এবার ছবিটিকে দিলেন ভালোবাসায় পূর্ণ চিঠির তকমা। ছবিটি নাকি তাঁর সন্তানদের জন্য দেওয়া ভালোবাসায় পূর্ণ একটি চিঠি। ছবিতে স্যান্ড্রাকে দেখা গেছে একজন সাহসী মা হিসেবে. যিনি তাঁর সন্তানদের জন্য যেকোনো কিছু করতে পারেন। ক্রিসমাসে ছবিটি ব্যাপক আলোচিত হয়। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেলেও এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ছবিটি। তাই এর গায়ে সফলতার তকমা লাগতে না–লাগতেই স্যান্ড্রা তাঁর সন্তানদের জন্য একে ভালোবাসার উপহার হিসেবেও ঘোষণা দিলেন। ছবির শুটিংয়ের সময় সেটে স্যান্ড্রার সন্তানেরা উপস্থিত ছিল। তাই তারাও অপেক্ষা করছিল ছবিটির জন্য। তবে ছবিটি নাকি তারা দেখতে পারবে না। কারণ এখনো ছবিটি দেখার মতো বয়স তাদের হয়নি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে স্যান্ড্রা বলেন. ‘একটি কারণে আমি বার্ড বক্স–এ অভিনয় করেছি। আমার ছেলে প্রায়ই বলে. ওদের জন্য একটি সিনেমা করি না কেন? এটা হলো ওদের জন্য একটি ভালোবাসায় ভরা চিঠি। কিন্তু ওরা এটা দেখতে পারবে না। কারণ ছবিটি দেখার জন্য ওদের আরও বড় হতে হবে।’ স্যান্ড্রা বুলক অভিনীত বার্ড বক্স প্রথম সাত দিনে দেখা হয়েছে চার কোটির বেশি নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। সিনেমা হলের বক্স অফিস হিসাব যেন অনলাইন স্ট্রিমিংয়েও শুরু হয়ে গেল। নেটফ্লিক্স টুইট করে জানিয়েছে. সিনেমাটি এক সপ্তাহে দেখা হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ১২৫টি অ্যাকাউন্ট থেকে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছে সুসানে বিয়া। স্যান্ড্রা বুলকের আট বছর বয়সী ছেলের নাম লুইজ ও সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী মেয়ের নাম লায়লা। এসশোবিজ। | 1,572,785 |
2019-01-01 | সুনামগঞ্জে ২২. হবিগঞ্জে ১৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572778/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4 | bangladesh | print | 1 | সুনামগঞ্জ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|নির্বাচন কমিশন | নির্বাচনী আইন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভোট না পাওয়ায় সুনামগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৩২ প্রার্থীর মধ্যে ২২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর হবিগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ২৪ প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জনই তাঁদের জামানত হারিয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া ভোটের হিসাব থেকে এই তথ্য জানা গেছে। নিবার্চন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে. কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেলে ওই প্রার্থী জামানত ফেরত পাবেন। না পেলে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯০৮টি। নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজির হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯১৫ ভোট। এখানে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিনজনের। তাঁরা হলেন জাকের পার্টির আমান উল্লাহ আমান (৪৪৩ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের ফখর উদ্দিন (১ হাজার ৪৩০ ভোট) এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বদরুদ্দোজা সুজা (১৮৫ ভোট) সুনামগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ২১৫। এ আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের জয়া সেনগুপ্তা। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির নাছির উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৮৭ ভোট। এখানে জামানত হারিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন গণতন্ত্রী পার্টির গোলজার আহমদ (২০৮ ভোট). কমিউনিস্ট পার্টির নিরঞ্জন দাস (৩৩৩ ভোট). বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মাহমুদ হাসান চৌধুরী (৮৭ ভোট) এবং ইসলামী আন্দোলনের আবদুল হাই (৩৫৫ ভোট)। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৭টি। এই আসনে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শাহীনুর পাশা চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৫ ভোট। জামানত হারিয়েছেন এলডিপির মাহফুজুর রহমান খালেদ (৫১৩ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের মহিবুল হক আজাদ (৩২৮ ভোট) জাকের পার্টির শাহজাহান চৌধুরী (১২৬ ভোট) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সৈয়দ মুবশ্বির আলী (৫১ ভোট)। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৯০৪। মহাজোটর প্রার্থী সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ লাঙ্গল প্রতীকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ ফজলুল হক আছপিয়া ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। জামানত হারিয়েছেন মুসলিম লীগের আল হেলাল (১১৫ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের তানভীর আহমদ তাছলিম (১ হাজার ৫২৯ ভোট). খেলাফত মজলিসের মুফতি আজিজুল হক (১ হাজার ৪১৬). এনপিপির মোহাম্মদ দিলোয়ার (৪৫৬ ভোট) এবং স্বতন্ত্র কামরুজ্জামান (৩৬৫ ভোট)। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৮টি। জয়ী আওয়ামী লীগের মুহিবুর রহমান মানিক নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৩২৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪২ ভোট। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন গণফোরামের আইয়ুব করম আলী (৬৪৬ ভোট). খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ সফিক উদ্দিন (২০৬ ভোট). ন্যাপের আবদুল ওদুদ (৬৩৫ ভোট). বিএনএফের আশরাফ হোসেন (৮১ ভোট). জাতীয় পার্টির নাজমুল হুদা (৫৫১ ভোট). ইসলামী আন্দোলনের হুসাইন আল হারুন (৭৩৩ ভোট) হবিগঞ্জ-১ আসনে জামানত হারিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (জাতীয় পার্টি). মই প্রতীকে চৌধুরী ফয়সল শোয়েব (বাসদ). গামছা প্রতীকে নুরুল হক (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ). মোমবাতি প্রতীকে জুবায়ের আহমেদ (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট) ও হাতপাখা প্রতীকে আবু হানিফা আহমদ হোসেন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ )। হবিগঞ্জ-২ আসনে জামানত হারান লাঙ্গল প্রতীকে শংকর পাল (জাতীয় পার্টি). হাতপাখা প্রতীকে আবুল জামাল মসউদ হাসান (ইসলামী আন্দোলন). গামছা প্রতীকে মনমোহন দেবনাথ (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ). আম প্রতীকে পরেশ চন্দ্র দাস (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) ও সিংহ প্রতীকে আফছার আহমদ (স্বতন্ত্র)। হবিগঞ্জ-৩ আসনে জামানত হারিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (জাতীয় পার্টি). হাতপাখা প্রতীকে মুহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও কাস্তে প্রতীকে পীযুষ চক্রবর্ত্তী (বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি) হবিগঞ্জ-৪ আসনে জামানত হারিয়েছেন মোমবাতি প্রতীকে মৌলানা মুহাম্মদ ছোলাইমান খান রাব্বানী (বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট). গোলাপফুল প্রতীকে আনছারুল হক (জাকের পার্টি) ও হাতপাখা প্রতীকে শেখ মো. সামছুল আলম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)। | 1,572,778 |
2019-01-01 | আওয়ামী লীগের দাপুটে জয় | null | নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি. সিলেট | ৭ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572777/%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি | নির্বাচনী প্রচারণায় ছিল আওয়ামী লীগের দাপট। মামলা. হামলা ও পুলিশের ধরপাকড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছিল কোণঠাসা। যার প্রভাব পড়ল নির্বাচনের ফলাফলেও। ভোটের হিসাবে সিলেট জেলার ছয়টি আসনে বড় জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা। পাঁচটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের কোনো প্রার্থী ছিল না। তুলনামূলক অন্য রকম এক পরিবেশে বিজয়ী হয়েছে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচন করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোকাব্বির খান। মহাজোটের মনোনয়নে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করা জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী চলে গেছেন চতুর্থ অবস্থানে। গত রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় প্রার্থীদের ভোটের পরিসংখ্যানও জানান এই কর্মকর্তা। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে. ছয়টি আসনের মধ্যে বিজয়ী ছয়জনের মধ্যে দুজন নতুন প্রার্থী। সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আবদুল মোমেন প্রথমবারই ভোটের মাঠে নেমে জয় পেয়েছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি মোমেন এই আসনের বর্তমান সাংসদ ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই। অন্যদিকে সিলেট-২ আসনে বিজয়ী গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানও নতুন প্রার্থী। তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এ আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী বিএনপির ‘নিখোঁজ’ নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ায় মোকাব্বির মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে যুক্তরাজ্যে চলে গিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতে তাহসিনার মনোনয়ন বাতিল হলে ভোটের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে দেশে ফিরে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন মোকাব্বির। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন. এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেন। নৌকার কোনো প্রার্থী না থাকায় সিলেটের অন্যান্য আসনের তুলনায় এখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন নির্ভার। নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটের দিন তুলনামূলক ভিন্ন চিত্র ছিল। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন মোকাব্বির। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট–২ আসনে মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৪২০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৪৯ ভোট। সিংহ প্রতীকে ২০ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক সরদার। সাংসদ ইয়াহইয়া চৌধুরী ১৮ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমানকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন ইয়াহইয়া চৌধুরী। এদিকে সিলেট-৫ আসনে গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া সাংসদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম উদ্দিন এবার তৃতীয় হয়েছেন। জেলার দুটি আসনে জাতীয় পার্টির বর্তমান দুই সাংসদই পরাজিত হওয়ায় দলটির এবার সংসদে জেলার প্রতিনিধিত্বকারী কেউ থাকল না। ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। জেলার ছয়টি আসনেই এ দলটি প্রার্থী দিয়েছিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী. সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের এ কে আবদুল মোমেন (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৫১ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী (হাতপাখা)। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ২৪ ভোট। এ কে আবদুল মোমেন গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন. ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। তাঁদের এ মূল্যায়ন ও ভালোবাসার সম্মান আমি রাখতে চাই। আমার প্রতিটি কাজই হবে এই এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য। এমনকি যেকোনো পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ইতিবাচক পরামর্শও আমি গ্রহণ করব। দলমত–নির্বিশেষে সবার সঠিক পরামর্শে আলোকিত সিলেট গড়াই আমার মূল লক্ষ্য।’ সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা. ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে জয়ী আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফি আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৮৩ হাজার ২৮৮ ভোট। এই আসনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন খেলাফত মজলিসের মো. দিলওয়ার হোসাইন। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৯৮৬ ভোট। সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট. জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৭২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিম (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৪৮ ভোট। এখানে ২ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জিল্লুর রহমান (হাতপাখা)। সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উবায়দুল্লাহ ফারুক পেয়েছেন ৮৬ হাজার ১৫১ ভোট। সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা)। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফয়সল আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৮৯ ভোট। ১০৪২ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আজমল হোসেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন. বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া সিলেটে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সব দলের প্রার্থীরাও এখানে সহ–অবস্থানে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ভোটাররাও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিংবা ভোটারদের কাছ থেকেও সেভাবে কোনো অভিযোগ ছিল না। | 1,572,777 |
2019-01-01 | গাইবান্ধায় ২৪ প্রার্থী জামানত হারালেন | null | প্রতিনিধি. গাইবান্ধা | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572776/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8 | bangladesh | print | 1 | গাইবান্ধা|একাদশ সংসদ নির্বাচন|নির্বাচন কমিশন|জাতীয় পার্টি|বিএনপি | গাইবান্ধার চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়. গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে নয়জন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ. ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মো. আশরাফুল ইসলাম খন্দকার. গণতন্ত্রী পার্টির কবুতর প্রতীকের আবুল বাসার মো. শরীতুল্লাহ. গণফ্রন্টের মাছ প্রতীকের শরিফুল ইসলাম. বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের হাফিজুর রহমান. বাসদের মই প্রতীকের মো. গোলাম রব্বানী শাহ. স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরগাড়ি (কার) প্রতীকের কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান. স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকের আফরুজা বারী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কুড়াল প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক। গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন সিপিবির কাস্তে প্রতীকের মিহির ঘোষ. ইসলামী আন্দোলনের মো. আল-আমিন. ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের মাওলানা যুবায়ের আহমদ. ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের জিয়া জামান খান এবং স্বতন্ত্র প্রাথী সিংহ প্রতীকের মকদুবর রহমান। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই জামানত হারান। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের কাজী মশিউর রহমান. জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের আবুল কালাম. ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম. বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির কোদাল প্রতীকের মো. ছামিউল আলম. ন্যাশনাল পিপলস পার্টির খন্দকার মো. রাশেদ এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের সানোয়ার হোসেন। গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির ফারুক আলম সরকার. জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু. ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল এবং সিপিবির কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী যজেস্বর বর্মন। | 1,572,776 |
2019-01-01 | দুটি আসন পেয়েও আনন্দ-নিরানন্দের দোলাচলে বিএনপি | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572775/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF | bangladesh | print | 1 | বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চাঁপাইনবাবগঞ্জ|রাজনীতি | সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের চিত্রের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবস্থার কোনো মিল নেই। সারা দেশে যেখানে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের শোচনীয় ভরাডুবি হয়েছে. সেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। অর্থাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে দুটি বিএনপি দখল করতে সক্ষম হয়েছে। এরপরও আনন্দ-নিরানন্দের দোলাচলে আছেন এখানকার বিএনপির নেতা–কর্মীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনে বিএনপির বিজয়ী প্রার্থী. দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন. ‘এখানে আমরা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করেছি। ভোটের আগের দিনও বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানকার ভোটাররা জুলুম অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছে। এ জন্য আমি ও আমাদের নেতা–কর্মীরা আনন্দিত। কিন্তু সারা দেশের নির্বাচন নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন. নির্বাচনের নামে এটা একটা তামাশা হয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদে যোগ দেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন. ‘দল যে সিদ্ধান্ত নেবে. সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।’ | 1,572,775 |
2019-01-01 | গণতন্ত্রের বিজয় এখনো সম্ভব | বিশ্ব ২০১৮ | হাসান ফেরদৌস | ৬ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572763/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%AC | opinion | print | 1 | হাসান ফেরদৌস|আন্তর্জাতিক | রোম যখন পুড়ছিল. নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। এখন সময় বদলেছে. রাষ্ট্রপ্রধানেরা এখন আর বাঁশি বাজান না. তাঁরা টুইট করেন। যেমন মার্কিন প্রেসিডন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের চাকা বন্ধ. আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসে একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন। ২০১৮ সালের জন্য এর চেয়ে অধিক তাৎপর্যপূর্ণ সমাপ্তি ভাবা কঠিন। গত দুই বছরে ট্রাম্প আমেরিকার রাজনীতি যেভাবে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিয়েছেন. তাতে আমেরিকার তো বটেই. পৃথিবীর সুস্থাবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় নেই। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর গত ৭০ বছর যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল. ট্রাম্প কার্যত একাই তা উল্টে দিতে চাইছেন। এই বিশ্বব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে সাধারণভাবে সম্মত আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ও নেতৃত্বেই এই ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এই বিশ্বব্যবস্থার শিরোমণি। ট্রাম্প এটা থেকে মুখ ফিরিয়ে ‘ঘরে ফেরা’র আওয়াজ তুলেছেন। তাঁর স্লোগান. আমেরিকা ফার্স্ট। ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে তিনি বিশ্বের অন্য নেতৃবৃন্দকেও পরামর্শ দিলেন. ‘আপনারাও নিজ নিজ দেশের কথা ভাবুন। আমার মতো আপনারাও “জাতীয়তাবাদী” হোন।’ জাতীয় স্বার্থের যুক্তি তুলেই আমেরিকা দেড় বছর আগে জাতিসংঘের ‘জলবায়ু চুক্তি’ থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা জানি. বিশ্বের দেশগুলো যদি সম্মিলিত চেষ্টায় ভূমণ্ডলের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা কমাতে ব্যর্থ হয়. তাহলে সবাই এক অনিবার্য বিপর্যয়ে নিক্ষিপ্ত হব। ছোট-বড় কোনো দেশ রেহাই পাবে না। বছর শেষে এক প্রতিবেদনে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন. এই বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের হাতে আছে মোটে ১৫ বছর। যে জাতীয় স্বার্থের ধুয়া তুলে ট্রাম্প পৃথিবীকে এমন বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে প্রস্তুত. তার রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতটি মাথায় রাখা প্রয়োজন। গত এক দশকে ইউরোপে—এবং পরবর্তী সময়ে উত্তর আমেরিকায়—যে জাতীয়তাবাদী হাওয়া বইছে. তার কেন্দ্রে রয়েছে অভিবাসনবিরোধী প্রবণতা। এসব দেশের সাদা মানুষেরা বলছে. কালো ও বাদামি মানুষের আগমনে তাদের শ্বেতাঙ্গ খ্রিষ্টীয় সভ্যতা আক্রান্ত। একে রক্ষা করতে হলে দরজায় খিল দিতে হবে. কালো ও বাদামি মানুষদের আগমন ঠেকাতে হবে। এই জাতীয়তাবাদী প্রবণতার মূল সুরটি একান্তই বর্ণবাদী। ট্রাম্প তো স্পষ্টই বলেছেন. অভিবাসনে তাঁর আপত্তি নেই. কিন্তু তিনি আফ্রিকা বা ক্যারিবীয় দেশগুলো থেকে কাউকে চান না। তাঁর পছন্দ নরওয়ের মতো দেশ. যে দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ শ্বেতাঙ্গ। ইউরোপেও বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্য অভিবাসীদের ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে। অস্ট্রিয়া. ফ্রান্স. হাঙ্গেরি. এমনকি উদারনৈতিক সুইডেনেও বর্ণবাদী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদের সমান্তরালভাবেই উত্থান ঘটেছে কর্তৃত্ববাদী রাজনৈতিক নেতৃত্বের। একদিকে ভীতি. অন্যদিকে নির্জলা মিথ্যাকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসেছেন এমন একদল নেতা. যাঁদের বিগত শতকে নির্দ্বিধায় ‘একনায়ক’ বলতাম। শুধু ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকা নয়. কর্তৃত্ববাদী শাসকদের খপ্পরে এখন এশিয়া. আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোও। যেমন ভারতে মোদি. তুরস্কে এরদোয়ান। ইউরোপে বর্ণবাদ হচ্ছে রাজনীতির ট্রাম্পকার্ড. আর এসব দেশে ব্যবহার হচ্ছে ধর্মের নামে বিভক্তি। আরেক দল কর্তৃত্ববাদী নেতা ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন সব প্রতিপক্ষকে ‘শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করে। যেমন রাশিয়ার পুতিন. নিকারাগুয়ার ওর্তেগা। প্রতিবেশী মিয়ানমারেও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভক্তি। কর্তৃত্ববাদ জিতছে. পিছু হটছে গণতন্ত্র। ২০১৮ সালের এটাই ছিল প্রধান বৈশিষ্ট্য। অবিশ্বাস্য মনে হবে. কিন্তু এই প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এসেছে তৃতীয় বিশ্বের কিছু দেশ থেকে। মালয়েশিয়া বা ক্ষুদ্র মালদ্বীপের কথা ভাবুন। যখন কর্তৃত্ববাদ ও দুর্নীতিতন্ত্র মালয়েশিয়ায় জেঁকে বসেছে. ঠিক তখনই সে দেশের মানুষ ক্ষমতা থেকে টেনে নামাল প্রধানমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাককে. পতন হলো ৬১ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা রাজনৈতিক দলটির। মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে হটানো সম্ভব. আমরা বাইরের কেউই ভাবিনি। সে দেশের মানুষ সেই কথা মিথ্যা প্রমাণ করে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির ইব্রাহিম সালিহকে বিজয়ী করে এনেছে। গণতন্ত্রের পক্ষে বিজয় এখনো সম্ভব. যদি জনগণ এককাট্টা হয়। ২০১৮ সালের এটিও একটি শিক্ষা। ২০১৮ সালের অন্য আরেক বৈশিষ্ট্য চীনের উত্থান। একুশ শতকের শুরু থেকেই বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনীতি হিসেবে চীনের উত্থান। কিন্তু সদ্য বিগত বছরেই চীন আমেরিকার এক নম্বর প্রতিপক্ষ হয়ে উঠল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষায়. আমেরিকার জন্য রাশিয়ার চেয়েও বড় শত্রু চীন। আমেরিকার প্রতি চীনের মূল চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক। আমেরিকা আর আগের মতো সামরিক বা অর্থনৈতিক. কোনো দিকেই সর্বক্ষমতাধর নয়। আমেরিকা বহু বছর বিশ্বজুড়ে সামরিক আখড়া ও একই সঙ্গে তিন ফ্রন্টে যুদ্ধ জিইয়ে রেখে তার নিজের শক্তি খুইয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে. চীন হয়ে উঠেছে নিঃশব্দে উঠে আসা এক পরাশক্তি। নিউইয়র্ক টাইমস বছর শেষে চীন বিষয়ে এক দীর্ঘ প্রতিবেদনে লিখেছে. এক নম্বর দেশকে টেক্কা দিয়েই দুই নম্বরের জায়গাটা দখল করেছে চীন। চীনের এই সাফল্য এসেছে তার নিজস্ব নিয়মে. কমিউনিস্ট পার্টির কর্তৃত্ববাদী চরিত্র টিকিয়ে রেখে। একুশ শতকের গোড়া থেকে শুরু হয় চীনের সমুদ্রভিত্তিক সামরিক সম্প্রসারণ। তার লক্ষ্য অবশ্য সারা বিশ্ব নয়. শুধু এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। আমেরিকার চোখে চীনের এই অবস্থান সরাসরি হুমকি। চীনকে ঠেকাতে ট্রাম্পের আমেরিকা প্রকাশ্য বাণিজ্যযুদ্ধে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এই চীন–মার্কিন প্রতিযোগিতা বিশ্বরাজনীতিকে সংজ্ঞায়িত করবে। ২০১৮ সালের আরেক বৈশিষ্ট্য সাইবার প্রযুক্তির অভাবিত সম্প্রসারণ। কয়েক বছর আগেও ভাবা হচ্ছিল তথ্যপ্রযুক্তি পৃথিবীকে বদলে দেবে. ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমাতে হবে এক ম্যাজিক হাতিয়ার। কিন্তু গত এক বছরে উপলব্ধি করা গেছে এই হাতিয়ার কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। ‘ফেক নিউজ’ কথাটা ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো জনপ্রিয় করেছেন. কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক বিজয়ের পেছনে যে সাইবারভিত্তিক ফেক নিউজ বড় সহায়ক ছিল. এখন সে কথা আমরা জানি। শুধু মিথ্যা প্রচারই নয়; পৃথিবীর ছোট-বড় সব দেশই এখন সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে নিজের নাগরিকদের ওপর নজরদারি করতে। জর্জ অরওয়েল একসময় যে ‘বিগ ব্রাদার’-এর কথা বলেছিলেন. সেই ব্রিগ ব্রাদার এখন এই সাইবার ক্যামেরা। ভবিষ্যতে এর ব্যবহার বাড়বে. কমবে না। সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে সাইবার প্রযুক্তির ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ। | 1,572,763 |
2019-01-01 | আট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত | null | প্রতিনিধি. মতলব দক্ষিণ. চাঁদপুর ও মির্জাপুর. টাঙ্গাইল | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572761/%E0%A6%86%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4 | bangladesh | print | 1 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|টাঙ্গাইল|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|নির্বাচন কমিশন | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা) আসনে বিএনপিসহ চার প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে চার প্রার্থীর। আইন অনুযায়ী. নির্বাচনে পড়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়. চাঁদপুর-২ আসনে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৪টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের জয়ী প্রার্থী নুরুল আমিন পেয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ৫০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ জালালউদ্দিন পান ১০ হাজার ২৭৭ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের মো. আফসার উদ্দিন পান ৩ হাজার ১১৭ ভোট। ইসলামী ঐক্যজোটের মনির হোসেন চৌধুরী ২৫৯ ও মুসলিম লীগের নুরুল আমিন পেয়েছেন ১ হাজার ৩১ ভোট পান। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল ইসলাম ও মতলব উত্তরের ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন. মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগও না পাওয়ায় এ আসনে বিএনপি. ইসলামী ঐক্যজোট. ইসলামী আন্দোলন ও মুসলিম লীগের প্রার্থীরা জামানতের টাকা ফিরে পাবেন না। তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়. টাঙ্গাইল-৭ আসনে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৯ জন ভোট দেন। আইনানুযায়ী. ৩২ হাজার ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এখানে আওয়ামী লীগের জয়ী প্রার্থী মো. একাব্বর হোসেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯১ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৯৪৯ ভোট। জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩১৭ ভোট। খেলাফত মজলিসের সৈয়দ মজিবর রহমান পেয়েছেন ১১৩ ভোট. ইসলামী আন্দোলনের শাহিনুর ইসলাম ১ হাজার ৯৭ ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) রুপা রায় চৌধুরী পেয়েছেন ১৫৮ ভোট। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এম শামছুজ্জামান বলেন. নির্বাচনে পড়া ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় চারজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। | 1,572,761 |
2019-01-01 | ‘হ্যাটট্রিক’ তিনজনের. নতুন সাংসদ দুজন | null | প্রতিনিধি. চাঁদপুর | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572760/%E2%80%98%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E2%80%99-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8 | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|চাঁদপুর|একাদশ সংসদ নির্বাচন | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি আসনে দলটির প্রার্থীরা জয়ের ‘হ্যাটট্রিক’ করেছেন। অপর দুটি আসনে দুজন প্রার্থী প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। হ্যাটট্রিক করা তিনজন হলেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর. চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তাঁরা ২০০৮. ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। এবার চাঁদপুর-১ আসনে মহীউদ্দীন খান আলমগীর পান ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোশারফ হোসেন পান ৭ হাজার ৭৫৯ ভোট। চাঁদপুর-৩ আসনে দীপু মনি পান ৩ লাখ ৪ হাজার ৮১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শেখ ফরিদ আহমেদ পান ৩৫ হাজার ৫০১ ভোট। চাঁদপুর-৫ আসনে রফিকুল ইসলাম পান ৩ লাখ ১ হাজার ৬৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মমিনুল হক পান ৩৭ হাজার ১৯৫ ভোট। অপর দুই আসনের মধ্যে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে নূরুল আমিন ও চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন। এ দুজনের মধ্যে শফিকুর রহমান ২০০১ সালে ও ২০০৮ সালে নির্বাচন করেও জয়ী হতে পারেননি। নূরুল আমিন প্রথমবার নির্বাচন করেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেলেন। চাঁদপুর-৪ আসনে শফিকুর রহমান পান ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হারুনুর রশিদ পান ৩০ হাজার ৭৯৯ ভোট। চাঁদপুর-২ আসনে নূরুল আমিন পান ৩ লাখ ১ হাজার ৫০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জালাল উদ্দিন পান ১০ হাজার ২৭৭ ভোট। | 1,572,760 |
2019-01-01 | ভোটের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড আ.লীগের | null | প্রতিনিধি. ময়মনসিংহ | ৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572759/%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|ময়মনসিংহ|আওয়ামী লীগ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে ৯টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ভোটের ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড করেছে আওয়ামী লীগ। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে ২ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেং। জুয়েল আরেং পেয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৩ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী আফজাল এইচ খান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩৮ ভোট। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রমোদ মানকিন পান ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৮১ ভোট। বিএনপির আফজাল এইচ খান পান ৯১ হাজার ৩৪৫ ভোট। ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে ২ লাখ ২৯হাজার ২৩৯ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শরীফ আহমেদ। শরীফ আহমেদ পেয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৭২ ভোট। বিএনপির প্রার্থী শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছেন ৬২ হাজার ২৩৩ ভোট। এই আসনে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হায়েতুর রহমান খান পান ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৩৩ ভোট। ওই নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী¦প্রার্থী হিসেবে শাহ শহীদ সারোয়ার পেয়েছিলেন ৯৪ হাজার ৯০ ভোট। ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮১ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫১৯ ভোট। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত মজিবুর রহমান ফকির পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৮০ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এম ইকবাল হোসেইন পেয়েছিলেন ৭৬ হাজার ৫১৭ ভোট। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে এম খালিদ পেয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৬ ভোট। বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসেন পেয়েছেন ২২ হাজার ২০৩ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মুখোমুখি নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে এম খালিদ ১ লাখ ২১ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপির প্রার্থী জাকির হোসনে পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ২০৫ ভোট। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনেও একাদশ নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির। এ আসনে ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৩ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন পেয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৫ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী শামছ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৩২ ভোট। এ আসনে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই প্রার্থী। সেবার মোসলেম উদ্দিন ১ লাখ ২৭ হাজার ৬২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী শামছ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছিলেন ৮১ হাজার ৮৫০ ভোট। ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২৬ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৭৩৪ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪০৮ ভোট। এ আসনে নবম নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রেজা আলী ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান পান ৫৮ হাজার ৪০ ভোট। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসেন ২ লাখ ৬ হাজার ১৯০ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আবেদীন খান পেয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির খুররম খান চৌধুরী পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৫৮ ভোট। ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনেও একাদশ নির্বাচনে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী। এ আসনে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪২২ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিদ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ ভোট। বিএনপির ফকরউদ্দিন আহমেদ পান ২৬ হাজার ৮২৬ ভোট। এ আসনে ২০০৮ সালে নবম নির্বাচনে দুই দল মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নবম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমান উল্লাহ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পান ৬৩ হাজার ৩৭৬ ভোট। এ ছাড়া ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আওয়ামী লীগের সাংসদ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ২ লাখ ৮১ হাজার ২৩০ ভোট পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭৫ ভোট। | 1,572,759 |
2019-01-01 | এগিয়ে চলছে ‘সিম্বা’ | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572755/%E0%A6%8F%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E2%80%99 | entertainment | print | 1 | বলিউড | তিন খান গত বছর হতাশ করেছেন বলিউড ভক্তদের। তাই সবার ধারণা. বছরের শেষ ছবি সিম্বা দিয়ে সেই হতাশা কাটাবেন রণবীর সিং। সেটি পূরণ করতে চলেছে সিনেমাটি। এরই মধ্যে ভারত ও ভারতের বাইরের আয় দিয়ে ছবিটি তুলে ফেলেছে ১০০ কোটি রুপির ওপরে। যদিও রণবীরের অভিনয়কে অতিরঞ্জিত বলেছেন কেউ কেউ। এ বছর সালমান খান অভিনীত রেস থ্রি হতাশ করেছে ভক্তদের। প্রথমবারের মতো আমির খান ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ছবি থাগস অব হিন্দোস্থান। আশা ছিল. অন্তত এই সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তুলবে। কিন্তু দুই মহাতারকার ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল। বাকি থাকলেন শাহরুখ খান। কয়েক বছর থেকেই খুব একটা ছন্দে নেই কিং খান। এবার ব্যতিক্রমী বামন চরিত্র দিয়ে নিজেকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ছবিটির পরিচালক ছিলেন আনন্দ এল রাই। ‘তানু ওয়েডস মানু’র মতো জনপ্রিয় ছবি তিনি বানিয়েছেন। ছবিটিতে ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ ও আনুশকা শর্মার মতো অভিনেত্রীও। তবু ঘুরে দাঁড়াতে পারলেন না শাহরুখ। তাই বছরের শেষ দিকে বলিউড ভক্তদের নজর পড়ে ‘সিম্বা’র ওপর। সিনেমাতে বেশ কয়েকটি আকর্ষণ আছে। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে জুটি হলেন জনপ্রিয় নির্মাতা রোহিত শেঠি ও রণবীর সিং। রণবীর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা দীপিকা পাড়ুকোনকে বিয়ে করে এমনিতেই আলোচনার তুঙ্গে। তা ছাড়া বছরের প্রথম দিকে ‘পদ্মাবত’ সিনেমায় আলাউদ্দিন খিলজির ভূমিকায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ছবিটিতে আছে সাইফ আলী খানের মেয়ে সারা আলী খানও। সবকিছু মিলিয়ে ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ ছিল আকাশচুম্বী। সেই আগ্রহ ধীরে ধীরে মেটাচ্ছে ছবিটি। শুধু ভারতেই ছবিটি আয় করেছে ৭৫ কোটি রুপি। গত শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পায়। রোববার পর্যন্ত এ হিসাব দিয়েছেন ভারতের বক্স অফিস বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র. কানাডাসহ অন্যান্য দেশ মিলিয়ে আয় হয়েছে ২৯ কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ছবিটি আয় করেছে ১০০ কোটি রুপির ওপরে। বক্স অফিস বিশ্লেষকদের ধারণা. অল্প কদিনের মধ্যেই ছবিটি শুধু ভারতের আয় দিয়েই ঢুকে যাবে ১০০ কোটি ক্লাবের মধ্যে। এ ছাড়া নতুন বছরে রণবীর কাজ করবেন বেশ কয়েকটি ছবিতে। এর মধ্যে জোয়া আখতারের গলি বয় ও কবির খানের ৮৩ অন্যতম। হিন্দুস্তান টাইমস | 1,572,755 |
2019-01-01 | অর্থনীতিতে আরও সুখের আশা | null | রাজীব আহমেদ. ঢাকা | ৬ | https://www.prothomalo.com/economy/article/1572754/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%BE | economy | print | 1 | বাণিজ্য সংবাদ | • নতুন বছরের শুরুতেই দায়িত্ব নিচ্ছে নতুন সরকার• ব্যবসায়ীরাও বাড়তি প্রত্যাশার কথা বলছেন• ইশতেহার অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান • সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা• ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও এক দরজায় সেবা চালু• অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়া • ব্যবসার খরচ কমানো ও জ্বালানির দাম সহনীয় রাখা • নতুন বছরের শুরুতেই দায়িত্ব নিচ্ছে নতুন সরকার• ব্যবসায়ীরাও বাড়তি প্রত্যাশার কথা বলছেন• ইশতেহার অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান • সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা• ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি ও এক দরজায় সেবা চালু• অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেওয়া • ব্যবসার খরচ কমানো ও জ্বালানির দাম সহনীয় রাখা দেশের অর্থনীতির স্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে নতুন বছর শুরু হচ্ছে। রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে. মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে. প্রবাসী আয় বাড়ছে. বৈদেশিক মুদ্রার মজুত খুবই ভালো অবস্থায়। বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব আসছে। আর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা স্বস্তি দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এমনই এক সুখকর অবস্থায় দেশে টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। ব্যবসায়ীরা বলছেন. নতুন বছর ও নতুন সরকার মিলিয়ে তাঁদের প্রত্যাশা বেশি। প্রত্যাশাগুলো অবশ্য বেশির ভাগই পুরোনো—ব্যবসা সহজ করা. ব্যবসার খরচ কমানো. করব্যবস্থা সহজ করা. অবকাঠামো উন্নতি. জ্বালানির ব্যবস্থা করা. সুদের হার সহনীয় রাখা। এর সঙ্গে নতুন একটি প্রত্যাশা যোগ হয়েছে আওয়ামী লীগের ইশতেহার থেকে। ব্যবসায়ীরা চান. নতুন বছরে নতুন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরু করুক। জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন. ‘আমরা চাই নতুন বছরে সরকার তার ইশতেহারে করা অঙ্গীকার অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরু করুক।’ তিনি ব্যবসা সহজ করা. সময়ের কাজ সময় অনুযায়ী শেষ না করলে জবাবদিহি নিশ্চিত করা. হয়রানিমুক্ত করব্যবস্থা নিশ্চিত করা. বিনিয়োগে উৎসাহ. বেসরকারি ব্যাংকেও ঋণের সুদের ৯ শতাংশ নামিয়ে আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। শফিউল ইসলাম বলেন. নতুন সরকার অনেক উন্নয়নকাজ হাতে নেবে। এ জন্য প্রচুর পয়সার প্রয়োজন হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে কর দিতে পারেন. সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারের চলতি মেয়াদে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কাছাকাছিতে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে। এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করেন. কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। গ্যাস-বিদ্যুতের দামের ক্ষেত্রেও মধ্যমেয়াদি একটি প্রক্ষেপণ থাকা দরকার। তিনি বলেন. যদি জ্বালানির দামের একটি প্রক্ষেপণ থাকে. তাহলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা সহজ হয়। সরকার গত কয়েক বছরে বেশ কিছু কাজ গুছিয়ে এনেছে. যার সুফল পাওয়া যেতে পারে চলতি বছর। এর মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ীদের জন্য এক দরজায় সেবা বা ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) চালু করা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ওএসএস চালুর ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সদ্য বিদায়ী সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন. ‘আমরা চাই ওএসএস দ্রুত চালু হোক। পাশাপাশি সেটার সুফল নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচকে আমরা উন্নতি চাই।’ তিনি আরও বলেন. অর্থনৈতিক উন্নতি এই সরকারের একটি বড় শক্তি। সেটা এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আবুল কাসেম খান মনে করেন. বড় ব্যবসায়ীরা নানাভাবে অর্থের জোগান নিশ্চিত করলেও বিপাকে থাকেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে. যাতে তাঁরা সহজে ঋণ পান। ব্যাংক খাতের অনিয়ম ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবিটি আবারও তুলে ধরেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে যে রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছিল. তার বড় ভুক্তভোগী ছিল পোশাক খাত। এবার সেটা হয়নি। নির্বাচনের দিন বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও সার্বিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে নির্বাচন ঘিরে প্রতিবার যে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়. তা থেকে মুক্ত ছিলেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাইলে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন. ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করব নতুন বছরে এবং পরবর্তীতে এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’ টানা তিনবার নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন. ‘সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। আশা করব. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যাশা পূরণ করবেন।’ তিনি অবকাঠামোর উন্নতি. সুশাসন নিশ্চিত করাসহ বেশ কয়েকটি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। বন্দর নিয়ে তিনি বলেন. চট্টগ্রাম বন্দরের পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে দেশের রপ্তানি বাড়ছে। তাতে যেন চাপ তৈরি না হয়. সে জন্য বে টার্মিনাল নির্মাণ দ্রুত শেষ করতে হবে। | 1,572,754 |
2019-01-01 | রাজনৈতিক সংকট ও মণি সিংহের শিক্ষা | মৃত্যুবার্ষিকী | এম এম আকাশ | null | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572753/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE | opinion | print | 1 | রাজনীতি | বাংলাদেশের সমাজজীবন এখনো নানা অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব. সহিংসতা. সন্ত্রাস ও সংঘাতে ভরা। একদিকে রয়েছে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ. অন্যদিকে রয়েছে আদর্শবিচ্যুত দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনীতিতে প্রধান যে সংকটটি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে. তা হচ্ছে গণতন্ত্রের সংকট। এই রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে. এমন একটি উত্তরণকালীন সমাধান খুঁজে বের করা. যাতে একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও সুশাসন ফিরিয়ে আনা যায় এবং রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জঙ্গি-সন্ত্রাসী. মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলোর সাময়িক নেতিবাচক উত্থান রহিত ও পরাজিত হয়। সেটা সম্ভব হলে আমরা মহাবিপদের হাত থেকে মুক্ত হতে পারব। এই বিশেষ সন্ধিক্ষণে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে কমরেড মণি সিংহের কাছ থেকে সাধারণভাবে জাতি এবং বিশেষভাবে তাঁর অনুসারী বামপন্থীরা কী শিক্ষা পেতে পারে—তা নিয়েই আলোচনা করব।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কমরেড মণি সিংহ জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন সম্পর্কে কী বলেছিলেন. তার বিবরণ পাওয়া যায় স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্রে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছিলেন ‘নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন করে আমরা (কেন্দ্রীয় কমিটি) আরও দেখেছিলাম যে. আওয়ামী লীগ কেবল “পূর্ব-পাকিস্তানের” জনগণেরই সর্বাত্মক সমর্থন পায়নি. তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার গঠনের অধিকার লাভ করেছে।...পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলো এবং এই শাসকদের মদদদাতা সাম্রাজ্যবাদ কিছুতেই নির্বাচনের এই ফলাফল মেনে নেবে না এবং তা বানচাল করার ষড়যন্ত্র করবে।...এমতাবস্থায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকেই অগ্রসর হবে এবং সে সংগ্রামের জন্য জনগণকে প্রস্তুত করা দরকার।’ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সেদিকে এগিয়ে গেলে. পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মভিত্তিক দল ও শক্তিগুলো পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। এই মুষ্টিমেয় অংশকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার প্রশ্নে ব্যাপক জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রশ্ন ১৯৭১ সালে সামনে চলে আসে। তখন বামপন্থীদের মধ্যে দুটি মত বিরাজ করছিল। একটি মত ছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করা। অপর মতটি মুক্তিযুদ্ধকে দেখছিল ‘দুই কুকুরের লড়াই’ হিসেবে। এই দ্বিতীয় মতটি ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী’ এবং ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বাহিনী’ উভয়কেই সমশত্রু জ্ঞান করে সমদূরত্বের নীতির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছিল। বিভ্রান্ত চীনাপন্থীদের বৃহৎ একটি অংশ তখন এই অবস্থান গ্রহণ করে। এই উদ্ধৃতি থেকে বোঝা যায়. ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ‘জাতীয় ইস্যুতে’ জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এগোনোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন কমরেড মণি সিংহ। ‘জাতীয় ইস্যু’র বিপরীতে সংকীর্ণ বামপন্থী অবস্থানকে তিনি ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ এবং ‘ভ্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন এবার ‘গণতন্ত্র ও সুশাসনের’ সংকটকে কেন্দ্র করে সে রকম কোনো জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব ছিল কি? আমরা জানি সাধারণত ‘জাতীয় ঐক্যের’ মধ্যে বাম ও ডানপন্থী উভয় প্রকার শক্তি বিদ্যমান থাকে। সেই জাতীয় ঐক্য জনগণের স্থায়ী কল্যাণে কতটুকু কাজে আসবে. তা নির্ভর করে ঐক্যের ভেতরে শক্তির ভারসাম্য ও নেতৃত্বের শ্রেণিচরিত্রের ওপর। এ বিষয়টি সম্পর্কে কমরেড মণি সিংহ কি সজাগ ছিলেন? তিনি কি ‘জাতীয় ঐক্যের’ অবস্থান নিতে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের অভ্যন্তরে ‘বিভিন্ন শ্রেণিগুলোর অভ্যন্তরীণ সংগ্রামের’ দিকটিকে ভুলে গিয়েছিলেন বা তার ওপর জোর কম দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নটিও বিচার করা প্রয়োজন। মণি সিংহের সাক্ষাৎকারের আরেক অংশে আছে— ‘আমরা আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির বৃহত্তম জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সচেষ্ট ছিলাম। এই প্রচেষ্টা তেমন সফল হয়নি। শেষের দিকে বাংলাদেশ সরকারের “পরামর্শদাতা কমিটি” গঠিত হয় এবং তাতে আমাদের পার্টির প্রতিনিধিরূপে আমি ছিলাম। সশস্ত্র সংগ্রামের অগ্রগতির পর্যায়ে আমাদের উভয় দলের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য ছিল। আমরা মুক্ত এলাকা গড়ে তুলে সেখানে প্রগতিশীল অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক নীতি গ্রহণ ও কার্যকর করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের মডেল জনগণের কাছে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতাম এবং ওই রকম রণকৌশল গ্রহণের কথা বলতাম। আমরা স্বাধীনতাসংগ্রামকে কেবল সাধারণ জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতাম না।’ এই উদ্ধৃতি থেকে এটা স্পষ্ট যে কমিউনিস্টদের জাতীয় ঐক্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থ নিছক জাতীয়তাবাদী বা নিছক বুর্জোয়া গণতন্ত্রী হয়ে যাওয়া নয় বা আত্মসত্তা বিসর্জন দেওয়া নয়। নিজস্ব পৃথক বৈশিষ্ট্য ও পৃথক রণকৌশল বজায় রাখার শর্ত মেনে নিয়েই জাতীয় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। উপরিউক্ত আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হচ্ছে. জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের নানা পর্বে ন্যূনতম সুনির্দিষ্ট জাতীয় ইস্যুতে বামপন্থীদের সঙ্গে অন্যান্য অ-বাম শক্তির ব্যাপক ঐক্য গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে. কিন্তু সেই প্রয়োজনীয় ঐক্যের সুনির্দিষ্ট রূপ এমন হতে হবে. যাতে জাতীয় ন্যূনতম ইস্যুর সমর্থক বামপন্থীদের অন্যান্য উচ্চতর সংগ্রামগুলো চালানোর স্বাধীন সুযোগ ও অধিকার বজায় থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তাদের শক্তির ভারসাম্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। চূড়ান্ত লক্ষ্য ও আশু লক্ষ্যের মধ্যে যাতে সংযোগ বজায় থাকে। তবে উপরিউক্ত রাজনৈতিক দিকটি ছাড়াও অন্য আরও অনেক প্রসঙ্গে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় মণি সিংহের পুরো জীবনের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে। তাঁর সততা. নিষ্ঠা. আত্মত্যাগ. সময়ানুবর্তিতা. শৃঙ্খলা. বিপ্লবী মানবতাবাদ. শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা. অঙ্গীকার ও অকৃত্রিম ভালোবাসা; সংগঠনে অধস্তনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও দরদ ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ই আমাদের নানা জনের নানা স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে। গতকাল ৩১ ডিসেম্বর ছিল এই মহান নেতার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা। এম এম আকাশ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক[email protected] | 1,572,753 |
2019-01-01 | কী ঘটতে চলেছে নতুন বছরে | null | রোকেয়া রহমান. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/international/article/1572751/%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87 | international | print | 1 | ইউরোপ|এশিয়া | • যুগের কলকাঠি নাড়ছেন ট্রাম্প. পুতিন. কিম ও যুবরাজ সালমানের মতো ব্যক্তিরা• কিছু ঘটনা নিশ্চিত ঘটবে ২০১৯ সালে• কিছু ঘটনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা • যুগের কলকাঠি নাড়ছেন ট্রাম্প. পুতিন. কিম ও যুবরাজ সালমানের মতো ব্যক্তিরা• কিছু ঘটনা নিশ্চিত ঘটবে ২০১৯ সালে• কিছু ঘটনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা বিশ্ব এখন লোকরঞ্জনবাদ ও সংরক্ষণবাদের। যুগের কলকাঠি নাড়ছেন ট্রাম্প. পুতিন. কিম ও যুবরাজ সালমানের মতো ব্যক্তিরা। কিছু ঘটনা নিশ্চিত ঘটবে ২০১৯ সালে। আর কিছু ঘটনা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবু ভবিষ্যদ্বাণী। নতুন কংগ্রেস পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ২০১৮ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ডেমোক্র্যাটরা। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর দেশের ১১৬তম কংগ্রেসের সদস্যরা প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবেন ৩ জানুয়ারি। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন মাত্রার বিরোধিতার মুখোমুখি হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। মোদিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? সম্প্রতি ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটেছে দিল্লিতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। ধারণা করা হচ্ছে. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভোটারদের কাছে যে প্রত্যাশার বাণী শুনিয়েছিলেন. তা তিনি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই এই ভরাডুবি। কিন্তু ক্যারিশম্যাটিক মোদির ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও বেশ। ফলে জয় নিশ্চিত করতে মোদি যেকোনো পদক্ষেপ নেবেন. তা ভাবাই শ্রেয়। ব্রেক্সিট হবে কি?যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ সৌহার্দ্যপূর্ণ হবে বলে উভয় পক্ষ আশা ব্যক্ত করেছিল; কিন্তু তার উল্টোটা হচ্ছে। ২০১৮ সালজুড়ে উভয় পক্ষ দেনা-পাওনা নিয়ে বারবার আলোচনায় বসেছে। এমনকি শেষ মুহূর্তে চাইলেও যুক্তরাজ্য নিজের ‘ক্ষতি’ করা থামাতে ইইউ থেকে প্রস্থান না-ও করতে পারে. এমন ধারণাও রয়েছে। কারণ. ইইউর আদালত সম্প্রতি রায় দিয়েছেন. ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবে যুক্তরাজ্য। তারপরও যদি সবকিছু সময়মতো হয়. তাহলে আগামী ২৯ মার্চ স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবে যুক্তরাজ্য। ক্ষমতায় থাকবেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসৌদি আরবের কলাম লেখক জামাল খাসোগি হত্যার দায় এসে পড়েছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর। তা সত্ত্বেও নিশ্চিত বলা যায়. তিনিই ক্ষমতায় থাকতে চলেছেন। বিগত তিন বছরে বিরোধীদের দমনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন তিনি। পাশে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খাসোগি হত্যার ঘটনার চেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশটির যুবরাজকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তাঁর কাছে যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইতিমধ্যে তা খোলাসা করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পকে অভিশংসনযুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য আঁতাতের বিষয়ের তদন্ত এখন তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। ট্রাম্প ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা দিয়েছিলেন. বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট ম্যুলারের তদন্তের মাধ্যমে হয়তো সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে এ বছরের শুরুতেই। এ অবস্থায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় অভিশংসিত হতে পারেন ট্রাম্প। তবে তাঁকে ক্ষমতা থেকে হটাতে উচ্চকক্ষ সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনও লাগবে। সেখানে ক্ষমতাসীনদের অবস্থান পাকাপোক্ত হওয়ায় ট্রাম্প অভিশংসনের চেষ্টা থেকে যে উতরে যাবেন. তা বলাই যায়। সম্রাটের পদত্যাগজাপনের সম্রাট আকিহিতো পদত্যাগ করবেন আগামী ৩০ এপ্রিল। জাপান সাম্রাজ্যের প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসে আকিহিতোই প্রথম সম্রাট. যিনি সিংহাসন ছাড়ছেন। ৮৩ বছর বয়সী আকিহিতো গত বছর বলেছিলেন. বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর জন্য রাজকীয় দায়িত্ব পালন কঠিন। বাড়বে না দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনাদক্ষিণ চীন সগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমায় চীন অনেক দিন ধরেই কৃত্রিম দ্বীপ গড়ছে। কিন্তু নতুন বছরে বড় ধরনের এমন পদক্ষেপ বেইজিং নেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণটা সহজ. ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়েছে চীন। দেশটি আর ওয়াশিংটনের নতুন তোপে পড়তে চাইবে না। | 1,572,751 |
2019-01-01 | উনিশে পা | null | মারিয়া সুলতানা | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572750/%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE | life-style | print | 1 | নকশা|ফ্যাশন|স্টাইল | ২০১৯ যাত্রা শুরু করছে আজ। আর যে মেয়েটি আঠারো পেরিয়ে উনিশে রেখেছে পা. সেই মেয়েটির পোশাক কেমন হবে? দেখুন প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। ইশ্। ইনস্টাগ্রামে তুষারপাতের ছবি দেখে ইচ্ছে করছে এখনই চলে যেতে ওখানে। বরফ বল বানিয়ে খেলতে। কখনোবা মনে হয় একদল সঙ্গী–সাথি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হিমছড়ির বনে-জঙ্গলে। পাহাড়. ঝরনা. নদী—সব দাপিয়ে বেড়াতে! মাঝেমধ্যে আবার মনে হয় একা একা নীলগিরির মেঘ ছুঁয়ে আসতে। মনে হয় মেঘ হয়ে উড়ে যাই এক দেশ থেকে আরেক দেশে. ঘুরে দেখতে পুরো পৃথিবী। জেনে নিতে মন চায় সব অজানা. জিতে নিতে পুরা বিশ্ব! অষ্টাদশী হয়েছে আরও একটু পরিপক্ব. আত্মবিশ্বাসের জায়গা মজবুত হয়েছে আরও। সব ইচ্ছেতে একটু একটু শুরু হয়েছে বিচারবোধ। কারণ. উনিশে পড়ে গেছে পা। পোশাকে ভিন্নতাএই বয়সে মেয়েরা নিজের সৌন্দর্য. ভালো লাগা. পরিবার. বন্ধুবান্ধব. লেখাপড়া. আশপাশের পরিবেশ—সব নিয়ে একটু সচেতন হয়ে ওঠেন। পোশাক তার মধ্যে অন্যতম। নতুন কোন ফ্যাশন চলছে. কোন স্টাইলে নিজেকে সবার থেকে একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করা যায়. তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনাকল্পনা। সাধারণত. মেয়েরা এখন সালোয়ার কুর্তা বা জিনস টপে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কুর্তাতেও এখন এসেছে নতুন ছাঁট ও কাট। আঁটসাঁট কামিজ বা কুর্তার চেয়ে একটু এ-লাইন প্যাটার্নের বা বেশি ঢিলা টপ বেশি জনপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে হাতায় এসেছে অনেক রকম ভিন্নতা। বেল স্লিভস. রাফেলস. টিউলিপ. ফ্রিল. কোল্ড শোল্ডার—নতুন নতুন হাতা এই বয়সের মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্যে যোগ করে নিচ্ছেন তাঁদের পোশাকে। এ ক্ষেত্রে তিন বা সাড়ে তিন হাতাওয়ালা পানা কাপড়ের দেড় গজ কাপড়ে হয়ে যাবে টপ। রাফেলস বা বেল স্লিভসের জন্য আরেকটু কাপড় বাড়িয়ে কিনতে হবে। টপের রংটি একরঙা হয়ে হাতাটা হতে পারে প্রিন্টের। কিংবা একটা প্রিন্টের টপের সঙ্গে পরতে পারেন একরঙা প্যান্ট বা স্কার্ট। প্যান্টেও এখন অনেক ধরনের প্যাটার্ন জনপ্রিয়—টিউলিপ প্যান্ট. বক্স প্লিট প্যান্ট. হারেম প্যান্ট. সারারা প্যান্ট. রাফেলস প্যান্ট. ডিভাইডারে হেমলাইনে ফ্রিল বা লেসের সমন্বয়। আড়াই হাত পানার কাপড়ে আড়াই থেকে তিন গজ কাপড়ে হয়ে যাবে এসব প্যান্ট। তবে হারেম প্যান্ট বা সারারা প্যান্টে কাপড় কিনতে হবে আরেকটু বেশি। সুতি. লিনেন বা সিল্কে পাওয়া যায় বিভিন্ন রঙের বা প্রিন্টের কাপড়। বন্ধুদের আড্ডায়. ক্লাসে বা কোচিংয়ের জন্য এই কাপড়গুলো দিয়ে পছন্দমতো কিছু বানিয়ে নিতে পারেন বা কিনেও নিতে পারেন। ফ্যাশনেবলের পাশাপাশি এই কাপড়গুলো আরামদায়কও। দাওয়াতেকোনো বিয়েবাড়ির দাওয়াতে বা আত্মীয়ের বিয়েতে কাপড় নিয়ে দেখা যায় উনিশের মেয়েদের বাড়তি ঔৎসুকতা। কী পোশাক পরবেন. তার কাট বা ধরন. রং এবং সাজ নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনাকল্পনা। এ ক্ষেত্রে লেহেঙ্গা. ক্রপ টপের সঙ্গে ঘেরওয়ালা স্কার্ট. সারারা কামিজ. গাউন বেশ জনপ্রিয়। সিল্ক. জর্জেট. ভেলভেট. কাতান সিল্ক—যেকোনো একরঙা কাপড়ে টপ এবং প্রিন্ট কাপড়ে স্কার্ট বা লেহেঙ্গার সঙ্গে চওড়া লেসের পাড় হতে পারে। প্রিন্ট এবং একরঙা—দুটোই মানিয়ে যাবে। এর সঙ্গে চুলের ব্লো ড্রাই. কোঁকড়া বা ছাড়া চুলে হতে পারে সেই সাজ। সঙ্গে হালকা একটু সাজ. হাতভর্তি চুড়ি বা হালফ্যাশনের লম্বা কানের দুল। ব্যস. তৈরি। উনিশের নিজস্ব সৌন্দর্য. বুদ্ধিদীপ্ত চোখ আর নির্মল হাসি তাঁকে সারাক্ষণ করে রাখবে উচ্ছল আর প্রাণবন্ত।লেখক: ডিজাইনার. মুমু মারিয়া | 1,572,750 |
2019-01-01 | খাবার হোক স্বাস্থ্যকর | null | রাফিয়া আলম | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572747/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%B0 | life-style | print | 1 | নকশা|খাবারদাবার|পরামর্শ | ভোজনরসিক বাঙালিমাত্রই তেল-মসলা দেওয়া খাবার ভালোবাসে। কাচ্চি-রোস্টে বিয়েবাড়ির ভোজ কিংবা বাড়ি ফেরার পথে পুরি-শিঙাড়ায় নিত্য উদরপূর্তি—তেল আর মসলা না হলে খাবারের আয়োজনটাই যেন পানসে। ইতালীয় কায়দায় তৈরি পাস্তা খেতে বসেও পাতে চাই বাড়তি মেয়োনেজ কিংবা লবণ।তবে এত তেল-মসলা শরীরে সইবে তো? বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন. প্রতিটি মসলা ও তেলের গুণাগুণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রান্নায় এগুলোর ব্যবহার পরিমিত হলে একদিকে যেমন স্বাদে আসে নতুনত্ব. অন্যদিকে পরিপাকতন্ত্রের কাজে সহায়তা করে। তবে এই দুটি জিনিসের ব্যবহার অতিরিক্ত হলে বেড়ে যাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি। অতিরিক্ত তেল ও মসলায় যা হয়● শর্করা ও আমিষজাতীয় খাবারের তুলনায় তেলজাতীয় খাবার থেকে আড়াই গুণ বেশি ক্যালরি আসে। মানে. ভাতের বদলে সমপরিমাণ পোলাও খেলে কিংবা রুটির বদলে সমপরিমাণ পরোটা খেলে আপনি আড়াই গুণ বেশি ক্যালরি পাবেন। ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।● অতিরিক্ত তেল ও মসলায় তৈরি খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ডুবোতেলে ভাজা খাবারে অ্যাসিডিটির আশঙ্কা আরও বেশি।● গুরুপাক বা অতিরিক্ত মসলা দেওয়া খাবার খেলে পেটের অন্যান্য সমস্যাও দেখা যায়। এমনকি আলসারও হতে পারে। অতিরিক্ত তেল-মসলা দিয়ে তৈরি খাবার সহজে হজমও হয় না।● একই তেলে বারবার ভাজা খাবার খেলে রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়তে পারে। সঙ্গে বেড়ে যায় হৃদ্রোগের ঝুঁকি। করণীয়অতিরিক্ত তেল-মসলার অপকারিতা সম্পর্কে তো জানা হলো। এবার জেনে নিন আপনার করণীয়—● অন্য কোনো অসুখ না থাকলে অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া গুরুপাক খাবার মাঝেমধ্যে খেতে পারেন। তবে অল্প পরিমাণে।● পেটের বিভিন্ন সমস্যা থাকলে এ ধরনের খাবার একেবারে বাদ দিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম (আইবিএস) আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত তেল-মসলা খেলে সমস্যায় ভুগতে পারেন। যাঁদের আলসার রয়েছে কিংবা যাঁরা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন. তাঁদেরও এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। ডায়রিয়া বা ডিসেন্ট্রি আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেলে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ডায়রিয়া বা ডিসেন্ট্রি হলেও এমন খাবার খাওয়া উচিত নয়।● কাউকে নিমন্ত্রণ করলে তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রাখুন। নিজের খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। স্থূল শরীরে নিজের অশান্তি না বাড়াতে চাইলে খাবার খাওয়ার সময় সচেতনতা জরুরি। | 1,572,747 |
2019-01-01 | আ. লীগ ছাড়া জামানত খুইয়েছেন প্রায় সবাই | null | প্রণব বল ও সুজন ঘোষ. চট্টগ্রাম | ২৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572748/%E0%A6%86.-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87 | bangladesh | print | 1 | নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চট্টগ্রাম|বিএনপি | • চট্টগ্রামের ১৬ আসন • বিএনপির ১০ জনসহ ৯৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত• ১০ আসনে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট• শূন্য ভোট পেলেন একজন • চট্টগ্রামের ১৬ আসন • বিএনপির ১০ জনসহ ৯৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত• ১০ আসনে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট• শূন্য ভোট পেলেন একজন নজিরবিহীন নির্বাচনে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের বিজয়ী ১৬ জন ছাড়া প্রায় সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ১১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৫ জন জামানত হারিয়েছেন। এ তালিকায় আছেন ২০–দলীয় জোটের সমন্বয়ক অলি আহমদ. বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ ঐক্যফ্রন্টের ১০ প্রার্থী। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১০টি আসনে ৮০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে। ১১৭ প্রার্থীর মধ্যে চট্টগ্রাম-১০ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফকে শূন্য ভোট দেখানো হয়। জামানত হারানো বিএনপি জোটের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী. চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের সাবেক সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা. চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের সাবেক সাংসদ নুরুল আলম. চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের আসলাম চৌধুরী. চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের জসিম উদ্দিন সিকদার। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের বিএনপি প্রার্থী সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম শুধু জামানতই হারাননি. এখানে তিনি তৃতীয় হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬২১ ভোটের ব্যবধানে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান পরাজিত হয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে। এলডিপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী অলি আহমদ পরাজিত হন ১ লাখ ৬৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন. ‘আমাদের এজেন্ট. সমর্থক. সাধারণ ভোটার কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। এই প্রতিবাদে আমিও ভোটদানে বিরত ছিলাম। এটা প্রহসনের নির্বাচন।’ জামানত বাঁচল যাঁদের চট্টগ্রাম-১১ তে কোনোভাবে জামানত রক্ষা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। তিনি এম এ লতিফের কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার ভোটে পরাজিত হন। জামানত রক্ষা করতে পারা অপর ভাগ্যবানেরা হলেন চট্টগ্রাম-২ আজিম উল্লাহ বাহার. চট্টগ্রাম-৫ সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম. চট্টগ্রাম-৮ আবু সুফিয়ান. চট্টগ্রাম-১২ এনামুল হক ও চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম। | 1,572,748 |
2019-01-01 | তেল কম মসলা কম | রেসিপি | null | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572746/%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%AE | life-style | print | 1 | রেসিপি|খাবারদাবার|নকশা | অনেকে মনে করেন খাবারে বেশি তেল আর মসলা যুক্ত হলেই মজাদার হবে। এই ধারণা সঠিক নয়। বেশি তেল ও মসলা শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। কম মসলায় রান্না করা যায় স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার। রেসিপি দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌসজুসি চিকেন রোস্ট উপকরণ: মুরগি ১ কেজি. আদাবাটা ১ চা–চামচ. রসুনবাটা ১ চা–চামচ. সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ. টকদই ৪ টেবিল চামচ. টমেটো সস ১ টেবিল চামচ. লবণ পরিমাণমতো।প্রণালি: মুরগির চামড়া রেখে পরিষ্কার করে সব উপকরণ দিয়ে ম্যারিনেট করে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। স্টিমার (সেদ্ধ করার পাত্র) বা বড় হাঁড়িতে পানি দিয়ে মুরগির পাত্র রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভাপে ৪০-৪৫ মিনিট রান্না করতে হবে। মুরগি থেকে ঝোল বের হবে। অল্প জালে চুলায় রেখে নাড়াচাড়া করে ঝোল শুকিয়ে নিন। ভাপের মুরগি মোটা করে কাটা সালাদের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। দেশি মুরগির পদউপকরণ: মাঝারি আকারের দেশি মুরগি ১টি. আদাবাটা ১ চা–চামচ. রসুনবাটা ১ চা–চামচ. পেঁয়াজবাটা ১ টেবিল চামচ. গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ. তেল ১ টেবিল চামচ. টকদই ৪ টেবিল চামচ. সবজি ২ কাপ (গাজর. বেবিকর্ন. চাইনিজ ক্যাবেজ. ফুলকপি. ব্রকলি. স্কোয়াস. ক্যাপসিকাম ইত্যাদি). কাঁচা মরিচ ৪টি. দারুচিনি ২ টুকরা. এলাচ ২টি. লবঙ্গ ৪টি. তেজপাতা ১টি।প্রণালি: মুরগি পরিষ্কার করে পছন্দমতো টুকরা করে টকদই ও সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রেখে দিন। ননস্টিক প্যানে তেল গরম করে সবজি কিছুক্ষণ ভেজে মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এবার গরম পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। ঝোল কমে এলে চুলা বন্ধ করে দিন। ভাপে কোরালউপকরণ: কোরাল মাছ ১ কেজি ওজনের ১টি. লেবুর রস ২ টেবিল চামচ. রসুনবাটা ১ চা–চামচ. কাঁচা মরিচবাটা ১ চা–চামচ. টমেটো সস ২ টেবিল চামচ. ফিশ সস ১ টেবিল চামচ. অয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ. জলপাই তেল ১ চা-চামচ. লবণ পরিমাণমতো।প্রণালি: মাছ পরিষ্কার করে দুই পিঠে ছুরি দিয়ে দাগ কেটে সব উপকরণ দিয়ে ম্যারিনেট করুন। স্টিমার বা বড় হাঁড়িতে পানি দিয়ে মাছের পাত্র রেখে ৩০-৩৫ মিনিট রান্না করতে হবে। গ্রিলারে বা ওভেনে ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ২০-২৫ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। ভেজিটেবল স্টার ফ্রাইউপকরণ: টুকরো করে কাটা সবজি ২ কাপ (ফুলকপি. বাঁধাকপি. চাইনিজ ক্যাবেজ. রেড ক্যাবেজ. গাজর. বেবিকর্ন. ব্রকলি. স্কোয়াস. পছন্দমতো রঙের ক্যাপসিকাম). পেঁয়াজ ২টি (ভাজে খোলা). কাঁচা মরিচ ৩-৪টি. আদাকিমা ১ চা–চামচ. রসুনকিমা ১ চা–চামচ. জলপাই তেল ১ টেবিল চামচ. কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ. ফিশ সস ১ টেবিল চামচ. অয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ. ভিনেগার ১ টেবিল চামচ. চিনি ১ চা–চামচ. পানি ৩ টেবিল চামচ. লবণ পরিমাণমতো।প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে হবে। ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে জলপাই তেল গরম করে রসুন. আদা. কাঁচা মরিচ. পেঁয়াজ ও সবজি পর্যায়ক্রমে দিয়ে ভাজুন। লবণ দিন। সবজি ভাজা হলে কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণে ১ চা–চামচ গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নামাতে হবে। লাউপাতায় মোড়ানো টাটকিনিউপকরণ: টাটকিনি মাছ ৮টি. লাউপাতা ৮টি. টমেটো ২টি. পেঁয়াজকুচি আধা কাপ. কাঁচা মরিচবাটা ১ চা–চামচ. কাঁচা মরিচ ৮টি. হলুদগুঁড়া সামান্য. লবণ পরিমাণমতো. ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ. পেঁয়াজপাতা ১টি. সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।প্রণালি: লাউপাতা গরম পানিতে অল্প কিছুক্ষণ রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মাছ কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে লেবুর রস মাখিয়ে রাখুন। পেঁয়াজ. কাঁচা মরিচবাটা. লবণ. হলুদ. ধনেপাতাকুচি ও তেল একসঙ্গে মাখিয়ে মাছের গায়ে লাগিয়ে টমেটো স্লাইস. আস্ত কাঁচা মরিচ. লাউপাতা দিয়ে মাছ মুড়িয়ে নিতে হবে। ফ্রাইপ্যানে পেঁয়াজপাতা বিছিয়ে লাউপাতায় মোড়ানো মাছ রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প জ্বালে ৩০ মিনিট রান্না করতে হবে। মাঝে একবার উল্টে দিন। কিছুক্ষণ দমে রেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লাউপাতায় মোড়ানো টাটকিনি। ছবি: সুমন ইউসুফ | 1,572,746 |
2019-01-01 | গড়ে ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট | null | নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি. খুলনা | ৫ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572743/%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A7%AD%E0%A7%AB-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%9F | bangladesh | print | 2 | খুলনা|একাদশ সংসদ নির্বাচন|ইভিএম|আওয়ামী লীগ|বিএনপি | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা জেলার ৬টি আসনে গড়ে ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে খুলনা-২ আসন বাদে অন্য ৫টি আসনে ভোট পড়েছে গড়ে ৮০ দশমিক ৪২ শতাংশ। শুধু খুলনা-২ আসনে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। জেলার ৬টি আসনে মোট ৭৮৬টি কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ১৮ লাখ ১ হাজার ২ জন। আওয়ামী লীগের ৬ বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী ৮০ শতাংশের ওপরে ভোট পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২ জন পেয়েছেন ৯০ শতাংশের ওপরে। অন্যদিকে ধানের শীষের কোনো প্রার্থীই ১৯ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে ধানের শীষের ২ জন প্রার্থীসহ মোট ২৫ প্রার্থীর জামানত বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়. খুলনা-১ আসনে (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ওই আসনের ১০৭টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪২০ জন। তাঁদের মধ্যে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৭টি ভোট পড়েছে। ১ হাজার ৩৯৯টি ভোট বাতিল হওয়ার পর বৈধ ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ১২ হাজার ১৮৮। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমীর এজাজ খান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩২২ ভোট (১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ)। এ ছাড়া কাস্তে প্রতীকে অশোক কুমার সরকার ৮২৮. হাতপাখা প্রতীকে মো. আবু সাঈদ ৫ হাজার ৯৬৫ এবং লাঙ্গল প্রতীকে সুনীল শুভ রায় ৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়েছেন। ভোট গ্রহণের দিন দুপুর ১২টার দিকে সুনীল শুভ রায় ও সাড়ে ১২টার দিকে আমীর এজাজ খান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। খুলনা-২ আসনে (সদর-সোনাডাঙ্গা) ভোট পড়েছে ৪৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। কেন্দ্র ছিল ১৫৭টি। মোট ভোটার ২ লাখ ৯৪ হাজার ১১৬ জন। এই আসনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট হওয়ায় কোনো ভোট বাতিল হয়নি। আসনটিতে খুলনা ৬টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। নৌকা প্রতীকের শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ১ লাখ ১২ হাজার ২০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৭ দশমিক ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের নজরুল ইসলাম মঞ্জু ২৭ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়েছেন. যা মোট ভোটের ১৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ ছাড়া এই আসনে এইচ এম শাহাদাৎ কাস্তে প্রতীকে ১ হাজার ১৬. এস এম সোহাগ টেলিভিশন প্রতীকে ১৫০. কে এম ইদ্রিস আলী গোলাপ ফুল প্রতীকে ৩৮৪. মনিরা বেগম মাছ প্রতীকে ১৭৬ এবং হাতপাখা প্রতীকে মো. আব্দুল আউয়াল ৪ হাজার ১৫ ভোট পান। খুলনা-৩ আসনে (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) মোট ১১৭টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মোট ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৯ ভোট পড়েছে। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৬১৬ ভোট। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬০৬ ভোট (১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ)। এ ছাড়া মই প্রতীকে জনার্দন দত্ত ২৫৪. হাতপাখা প্রতীকে মো. মুজ্জাম্মিল হক ৬ হাজার ৮৭২. গোলাপ ফুল প্রতীকের এস এম সাব্বির হোসেন ১৯৫ ভোট পেয়েছেন। ভোট গ্রহণের দিন দুপুরের আগেই বিএনপির রকিবুল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই আসনের ১৩১টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁর মধ্যে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৬৪ ভোট পড়েছে। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৩। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন (৯০ দশমিক ৮৮ শতাংশ)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৮৭ ভোট (৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আসনে কোদাল প্রতীকে কে এম আলী দাদ ২৬৩. হাতপাখা প্রতীকে ইউনুস আহম্মেদ শেখ ৭ হাজার ১২৫. গোলাপ ফুল প্রতীকের শেখ আনছার আলী ৫২৭ এবং টেলিভিশন প্রতীকের শেখ হাবিবুর রহমান ২৯৮ ভোট পেয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী দুপুরের আগেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। খুলনা-৫ আসনে (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) ৭৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই আসনের ১৩৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭০ জন। তাঁদের মধ্যে ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৩ ভোট পড়েছে। ২ হাজার ১০১ ভোট বাতিল হয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মিয়া গোলাম পরওয়ার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৫৯ ভোট (১২ দশমিক ২১ শতাংশ)। এ ছাড়া এই আসনে কাস্তে প্রতীকে চিত্ত রঞ্জন গোলদার ৪৯৬. লাঙ্গল প্রতীকের মো. শাহীদ আলম ৬২৭ ও হাতপাখা প্রতীকের শেখ মুজিবুর রহমান ৪ হাজার ১৩৩ ভোট পেয়েছেন। আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। খুলনা-৬ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) ভোট পড়েছে ৮৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। ভোট পড়ার এ হার জেলার অন্যান্য আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ওই আসনের ১৪১টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৯ জন। তাঁর মধ্যে ৩ লাখ ১১ হাজার ৪৬০ ভোট পড়েছে। বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৯২১। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৯২ দশমিক ১৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের আবুল কালাম আজাদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ২৫৭ ভোট। এর ফলে তাঁর জামানত বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই আসনের হাতপাখা প্রতীকে গাজী নূর আহমাদ ২ হাজার ২৫৭. গোলাপ ফুল প্রতীকের শেখ মর্তুজা আল মামুন ৩৩৪. কাস্তে প্রতীকের সুভাষ চন্দ্র সানা ৪৪২. টেলিভিশন প্রতীকের মির্জা গোলাম আজম ১৭২ ও লাঙ্গল প্রতীকের মো. শফিকুল ইসলাম ১ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়েছেন। কারাগারে থাকায় ওই আসনের ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে তাঁর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বেলা ১১টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। দুই নতুন মুখ খুলনার ৬টি আসনের মধ্যে ২ জন প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১ জন হলেন খুলনা-২ আসনের শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ও অন্যজন হলেন খুলনা-৬ আসনের মো. আক্তারুজ্জামান। | 1,572,743 |
2019-01-01 | ১৭ প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত | null | প্রতিনিধি. ফরিদপুর | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572742/%E0%A7%A7%E0%A7%AD-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4 | bangladesh | print | 2 | ফরিদপুর|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ | ফরিদপুরের চারটি আসনে ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ জন জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির চার প্রার্থী রয়েছেন। জামানত রক্ষা হয়েছে পাঁচজন প্রার্থীর। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র একজন। জামানত রক্ষা করতে হলে প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশ প্রয়োজন হয়। ফরিদপুর-১ আসনে (মধুখালী. বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) প্রার্থী ছিলেন চারজন। এ আসনে শুধু জয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনজুর হোসেনের জামানত রক্ষা পেয়েছে। বিএনপিসহ বাকি তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৯৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৭ জন। এই হিসাবে. একজন প্রার্থীর ন্যূনতম ২৭ হাজার ৩২৪ ভোট প্রয়োজন ছিল। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী শাহ জাফর অল্পের জন্য জামানত খুইয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩০৫ ভোট। অর্থাৎ মাত্র ১৯ ভোট কম পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানো অন্য দুই প্রার্থী হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওয়ালিউর রহমান রাসেল (৫ হাজার ৫৮০ ভোট) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. জাকারিয়া (২৫৩ ভোট)। ফরিদপুর-২ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সাজেদা চৌধুরী ছাড়া বাকি তিন প্রার্থীই জামানত খুইয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭০। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৭। জামানত রক্ষা করতে ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ১৯ হাজার ৪৭১টি। এ আসনে বিএনপির শামা ওবায়েদ ইসলাম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯১০. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কে এম ছরোয়ার পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫১ ভোট. বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জয়নুল আবেদীন ওরফে বকুল মিয়া পেয়েছেন ৬৫৭ ভোট। ফরিদপুর-৩ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছাড়া বাকি তিন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। এ আসনে মোট ভোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬৯। জামানত রক্ষা করতে ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২৪ হাজার ২৯৪টি। এ আসনে বিএনপির চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ পেয়েছেন ২১ হাজার ৭০৪ ভোট. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ এম নূরুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৮২৭ ভোট ও সিপিবির মো. রফিকুজ্জামান মিয়া পেয়েছেন ৩৪৮টি ভোট। ফরিদপুর-৪ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের কাজী জাফর উল্যাহর জামানত রক্ষা পেয়েছে। বিএনপিসহ বাকি তিন প্রার্থী জামানত খুইয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৫। ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ২০৪ জন। জামানত পেতে হলে ২০ হাজার ৯৭৬ ভোট পাওয়ার কথা ছিল। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন বিএনপির খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম ১২ হাজার ৩৮০. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল হামিদ মিয়া ৯ হাজার ১০ ভোট ও সিপিবির আতাউর রহমান ৩৩১। | 1,572,742 |
2019-01-01 | নতুন সাজে পুরো বছর | null | নুজহাত খান | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572744/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0 | life-style | print | 2 | নকশা|রূপচর্চা | বছরের প্রথম দিন থেকেই সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় দেখা যাচ্ছে অদলবদল. সংযোজন আর নানান নিরীক্ষা। ২০১৯-এ কেমন হবে সাজের প্রবণতা? থাকছে একেবারে চলতি মেকআপ আর হেয়ারস্টাইলের হালহদিস। এ বছরের ধারাগুলো বেশ বিপরীতধর্মী। বৈশিষ্ট্যের ধরনে বলা যায় মেশানো. কোনো নির্দিষ্ট দিকে ধাবিত নয়। হালকা অদলবদল হয়ে ফিরে আসবে বেশ পুরোনো কিছু জিনিস। বিশেষ করে চোখ আর চুলে। হালকা. একেবারে ন্যাচারাল সাজগোজের পাশাপাশি থাকবে অতিরঞ্জিত রঙিন মেকআপের ব্যবহার। চোখ. ঠোঁট. বেজ ও চুল—এ চারটি অংশেই পাল্টে যাবে সাজের ধরন। র্যাম্প থেকে রেড কার্পেটগুলোতে এর আভাসও মিলেছে। পরিবর্তনটা একদম সুস্পষ্ট। জেনে নিন বছরের প্রথম দিনটি থেকেই। চোখপ্রতিবছরই চোখের সাজের ধারায় কিছুটা অদলবদল হলেও মূল বিষয়টি প্রায় অপরিবর্তিত থাকে। এবারও থাকছে পুরোনো অনেক কিছু. অবশ্যই খানিকটা সংযোজন-বিয়োজনের মধ্য দিয়ে। তবে মজা হলো. যোগ হবে চলতি ধারার বাইরে দু-একটি ব্যাপার। ক্ল্যাসিক কাজল. কালো চোখের জনপ্রিয়তা আবার ফিরবে চলতি ধারায়। কাজল টানা ড্রামাটিক লুকের রমরমা থাকবে বছরজুড়ে। সঙ্গে যোগ হবে আন্ডারলাইনার। অর্থাৎ আইপেন্সিল বা লাইনারের মাধ্যমে রেখা মোটা করে আঁকা হবে চোখের নিচে। তবে যাদের খুব বেশি সাজ পছন্দ নয়. তাদের জন্যও থাকছে অন্য সাজ। শুধু ফ্লিক দিয়ে সাজানো যাবে চোখ। অর্থাৎ চোখের বাইরের কোণে লাইনারের লাইন টেনে নিতে হবে। কালো আর বাদামি তো থাকবেই. আইলাইনারে যোগ হবে অ্যাসিডিক লাইম. কোবাল্ট. গোল্ডের মতো উজ্জ্বল সব রং। থাকবে লাইট. প্যাস্টেল আর মেটালিক আইলাইনারও। আইশ্যাডোতে ট্রেন্ডি হয়ে উঠবে উজ্জ্বল সব রং। থাকবে হালকা. প্যাস্টেল আর ধাতব আইলাইনারও। আইশ্যাডোতে ট্রেন্ডি হয়ে উঠবে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার। গ্লসি. শিমারি আর ফয়েল ফর্মুলার আইশ্যাডোরও কাটতি বাড়বে এ বছর। কালো ছাড়া রংবেরঙের মাসকারার ব্যবহার বাড়বে আইল্যাশে। দ্য ইমপারফেক্টলি পারফেক্ট হিসেবে খ্যাত ক্লাম্পি স্টাইল মাসকারার ধারা থাকবে বছরজুড়ে। ঠোঁটফর্মুলায় নানা পরিবর্তন দেখা যাবে বছরজুড়ে। ম্যাটের জায়গা দখল করে নেবে পাউডার লিপস্টিক। টেক্সচার ভিন্নধর্মী হলেও ঠোঁটে দেবে ম্যাট ফিনিশ। কিন্তু অস্বস্তিকর টানটান ভাব ছাড়াই ঠোঁট থাকবে আর্দ্র। ময়েশ্চার দেওয়া পাউডার পিগমেন্টও ব্যবহৃত হবে দেদার। ন্যুডে নতুনত্ব আসবে। সামান্য বাদামি যোগ হবে এতে। উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বল রংগুলো নানা মাত্রা যোগ করবে ঠোঁটে। এগিয়ে থাকবে উজ্জ্বল কমলা আর লালের শেডগুলো। কোরাল রঙা ঠোঁটও দেখা যাবে বছরজুড়ে। ফোলানো ঠোঁটের ধারাও থাকছে। বাড়বে চকচকে লিপগ্লসের ব্যবহার। শিমারি কিংবা গ্লিটারের ব্যবহারও থাকবে ঠোঁটে।বেজএ বছর নো-মেকআপ রূপ যেমন থাকছে. তেমনি থাকছে মেকআপে পরিপূর্ণ মুখও। ব্রোঞ্জ. সানকিসড বা কিছুটা পোড়া রঙা বেজের ব্যবহার বাড়বে। কিন্তু ভিন্নধর্মী কৌশলে. চিকবোনের ঠিক ওপরের অংশে থাকবে ব্লাশঅনের ব্যবহার। তা–ও পিচি পিংক ব্লাশঅনের। কনট্যুর বাদ দিয়ে বাড়বে হাইলাইটারের মাধ্যমে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলার ধারা। মেকআপ না করলেও চলবে। সেটিও ট্রেন্ড। কারণ. আগের চেয়েও তীব্র হয়ে ফিরে আসবে যৎসামান্য সাজ। যেটুকু না করলেই নয়. শুধু সেটুকু মেকআপ ব্যবহার করে চেহারায় আবেদন তৈরি করা। চুলচুল বাঁধার ধারায় দেখা যাবে দারুণ সব পরিবর্তন। বেণি আর খোঁপাকে হটিয়ে এ বছর বাড়বে ঝুঁটির দাপট। তা-ও আবার যেনতেন স্টাইলে নয়. চূড়ায় বাঁধতে হবে ঝুঁটি। জেল বা তেল দিয়ে টেনে করা স্লিক আপডু চলবে এ বছরও। তবে ঢিলেঢালাভাবে চুলের নিচের অংশে কোঁকড়া করে রাখার ধারা থাকবে পছন্দের শীর্ষ। লাইন কিংবা মাঝামাঝি—ববের বছর ২০১৯। তা-ও আবার পরিপাটি করে আঁচড়ানো নয়. বরং যেন মনে হয় এলোমেলোভাবে ফেলে রাখা হয়েছে চুল. ববের সঙ্গে যোগ হবে এমন স্টাইল। বেবি. বারডট আর সফট কার্টেন ফিঞ্জের রমরমা থাকবে বছরজুড়ে। আর যাঁরা চুল রাঙাতে চান. তাঁরা বেছে নিতে পারেন লাইলাক কিংবা কপারের শেডগুলো।এ বছরকার বিউটি ট্রেন্ডেও থাকছে নিজের মতো করে নেওয়ার সুযোগ। তাই নিজেকে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ এখন অনেক সহজ। তবে অন্যের অনুকরণে নয়; নিজের মতো করে। ত্বকের যত্ন নিতে ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। এখন অনেক বেশি আধুনিক উপায়ে আর মাপজোখের মাধ্যমে সারা হয় পুরো প্রক্রিয়া। শুধু নিজের জন্য মানানসই সাজটি বেছে নেওয়া প্রয়োজন। সঙ্গে চোখ রাখুন চলতি ফ্যাশন ও স্টাইলের হালহকিকতে। সবকিছুর মিলমিশে তৈরি করে ফেলুন আপনার নতুন বছরের নতুন রূপের নোটবুক। অনন্য হয়ে উঠুন। লেখক: পরিচালক. পারসোনা | 1,572,744 |
2019-01-01 | ইংরেজি নববর্ষ অতি মনোহর | নতুন বছর | অনার্য তাপস | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572741/%E0%A6%87%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B0 | life-style | print | 2 | নকশা | বাঙালি যথেষ্ট ভাগ্যবান জাতি। তারা বছরে দুইবার নতুন বছরের আনন্দ উদ্যাপন করতে পারে। এই দুটি নতুন বছরের পার্থক্য শুধু ঋতুতে। একটির শুরু গ্রীষ্মে. অন্যটির শুরু শীতে। গ্রীষ্ম বা শীত যা–ই হোক না কেন. নতুন বছরকে বরণ করার আনন্দ সে অনির্বচনীয়! খ্রিষ্টীয় নতুন বছর সোজা বাংলায় আমরা যাকে বলি ইংরেজি নববর্ষ. তাকে বরণ করার মধ্যে একটা ‘রকিং’ ব্যাপার আছে। কেন যেন আমাদের বাঙালি মানসে এই ইংরেজি নববর্ষ মানেই বারবিকিউ পার্টি. হুডখোলা জিপ বা হাউস্পিড বাইক. চামড়ার জ্যাকেট. নীল জিনস. মেটাল মিউজিক আর সেই সঙ্গে অদম্য তারুণ্য মিশে আছে। হয়তো ব্যাপারটা ইউরোপীয় বলে. হয়তো ব্যাপারটার সঙ্গে আমাদের প্রায় ২০০ বছরের ‘প্রতিপালক’ ইংরেজদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বলেই। আজ এই একুশ শতকের প্রায় সিকি ভাগ বয়স চলে যাওয়ার কালে বাঙালি এই খ্রিষ্টীয় নতুন বছরকে যেভাবে নিজেদের মতো করে উদ্যাপন করে. গত শতকের ষাট. সত্তর বা আশির দশকেও ব্যাপারটা সে রকম ছিল না। সাধারণ্যে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ বা জানুয়ারির ১ তারিখ বিশেষ কোনো অর্থবহ ব্যাপার ছিল না। এলিট ক্লাসের পালনীয় একটা অনুষ্ঠান ছিল এই ‘নিউ ইয়ার’। তাতে সেই ক্লাসের তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণই ছিল মূল ব্যাপার। সাধারণ বাঙালি ছিল দূরবর্তী দর্শকমাত্র। তবে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে কিছুটা চর্চা ছিল. বিশেষ করে যেসব পরিবারের প্রধান ব্যক্তিটি চাকরিজীবী ছিলেন। কারণ. নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে ছুটি থাকত। আর কে না জানে যে ছুটি থাকলে কর্তাটি বাড়িতেই থাকবেন। আর কর্তা বাড়িতে থাকলে বাড়িতে কিছু ভালোমন্দ খাওয়া হবে। এই ভালোমন্দ খাবারের সূত্র ধরেই বাঙালি মধ্যবিত্ত মনে রাখত ইংরেজি নতুন বছরের কথা। তবে হ্যাঁ. সাহেবী মালিকানা আর সাহেব বড়কর্তা থাকার ফলে চা–বাগান ছিল নিউ ইয়ার উদ্যাপনের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। চার্চ এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা চিরকালই বাংলাদেশে কম। কিন্তু এই কমিউনিটিরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে নিউ ইয়ার উদ্যাপনকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। তারও আগে. ব্রিটিশ আমলে সম্ভবত বাঙালি ব্যাপক পরিমাণে দ্বিধান্বিত ছিল খ্রিষ্টীয় নববর্ষ পালনের ব্যাপারে। এর বড় কারণ ছিল. এই নতুন বছরের সঙ্গে বাঙালি কৃষি সংস্কৃতির কোনো রকম সম্পর্ক না থাকা. শাসক ইংরেজদের পালন করা একটা অনুষ্ঠানকে নিজেদের করে ভাবতে না পারা। সে জন্য কখনো কখনো বাঙালি মানস যে কিছুটা ব্যঙ্গের চোখেই দেখত ‘গোরা’ সাহেবদের এই আচার পালন. সেটা বোঝা যায় ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের ‘ইংরাজী নববর্ষ’ নামে লেখা একটি কবিতায়। কবি ব্যঙ্গ করে বলছেন. ‘নিরন্ন বায়ান্ন দেব ধরিয়া বিক্রম।/ বিলাতীর শকে আসি করিলা আশ্রম।।/ খ্রীষ্টমতে নববর্ষ অতি মনোহর।/ প্রেমানন্দে পরিপূর্ণ যত শ্বেত নর।।’ সে সময়ের নিরিখে এই ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক ছিল। এই ব্যঙ্গ আবার স্বাধীনতা–উত্তর বাংলাদেশে কিছুটা অহংকার হিসেবে ধরা দিয়েছিল। আশির দশকের একটি ঢাকাই সিনেমায় দেখা যায়. সদ্য বড়বাবু হওয়া এক তরুণ নায়ক তাঁর অধীনস্থকে বলছেন. ‘এখন থেকে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে বাংলা মাসে। যান. নোটিশ দিন।’ কিন্তু বাঙালির এই ‘অহংকার’ খুব বেশি দিন টেকেনি। গত শতকের নব্বইয়ের দশক–পরবর্তী সময়ের ব্যাপক গোলকায়নের ফলে ইংরেজি নববর্ষ পালনের ধারা বানের পানির মতো ঢুকে গেছে বাঙালির জীবনে। শহুরে মানুষ তো বটেই. গ্রামীণ পরিসরেও পয়লা জানুয়ারিতে নতুন বছর পালনের একটা বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেটা পান্তা–ইলিশ আর অষ্টব্যঞ্জনসহযোগে হয়তো নয়। কিন্তু সকালে উঠে হাসিমুখে দুটো কথা বলে. একটু ভালোমন্দ খাবারের আয়োজন করে ইংরেজি নববর্ষ পালিত হচ্ছে। তারপরেও যে কথাটি বলতেই হয় সেটি হচ্ছে. নিউ ইয়ার পালনের হিড়িক বা প্রবণতা মূলত তারুণ্য–নির্ভর। নতুন বছরে নিয়ম করে বাইরে খাওয়া. মেসেজিং. উপহার দেওয়া থেকে এর যাবতীয় ইভেন্টে তরুণদেরই দেখা যায় সামনের সারিতে। আলো–ঝলমলে সুসজ্জিত শহরে মধ্যরাতে বন্ধুদের সঙ্গে খোলা জিপে কিংবা জ্যাকেট গায়ে বাইকে চড়ে শহরময় ঘুরে বেড়ানোর যে স্বাধীনতা. যে আনন্দ. তাতে তরুণদের অধিকারই প্রধান। বয়স্করা যেহেতু সাবধানী .তাই তাঁদের দৌড় খুব বেশি হলে রুফটপ রেস্টুরেন্টের খোলা আকাশ। সামনে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধব এবং সুস্বাদু খাদ্য-পানীয়। এতক্ষণ যা বলেছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে আছে খাদ্য। নতুন বছর পালন হবে আর সামনে পছন্দের সুস্বাদু খাবার থাকবে না. শুধু বাঙালি নয়. পৃথিবীর কোনো জাতির মানুষই মনে হয় সেটা মেনে নিতে পারে না। সেখানে আবার ‘খাদ্য রসিক’ হিসেবে বাঙালির কিঞ্চিৎ খ্যাতি আছে। হ্যাঁ. পান্তা-ইলিশ বা অষ্টব্যঞ্জনের মতো নির্দিষ্ট কোনো ব্যাপার এখনো নিউ ইয়ারকে ঘিরে গড়ে ওঠেনি বটে। তাতে নিউ ইয়ারি খানাখাদ্যের সংস্কৃতিতে খুব উনিশ–বিশ হয়েছে. সেটা বলা যাবে না। তারকা হোটেল থেকে গলির রেস্টুরেন্টের ভিড় দেখলে সেটা বোঝা যায়। এ ছাড়া রসিকজনের রান্নাঘরের খোশবুতে প্রতিবেশীর ঘুম যে হারাম হয়ে ওঠে. তা না বললেও চলে। নিউ ইয়ারের খাবার হিসেবে চপ-কাটলেটের যুগ এখন আর নেই। আছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চৈনিক খাদ্যের কদর. মোগলাই ঘরানার হেভি স্পাইসি হট খাবারের সুনাম. আছে বিরিয়ানির স্পেশাল কদর। নিউ ইয়ার ইউরোপীয় প্রথা হলেও বাঙালি তো আর কাঁটা চামচে খুটে খুটে খাবার খাবে না। খাবে কবজি ডুবিয়ে নালে–ঝোলে। তাই বরং চলুন এত কথা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটা বিরিয়ানি রান্না শিখে নেওয়া যাক। সুনামগঞ্জ অঞ্চলের মাঝিমাল্লাদের মধ্যে প্রচলিত ছিল এই বিরিয়ানি রান্নার ঘরানা। এখন আর পাবেন বলে মনে হয় না। তাই এই বিরিয়ানির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাঝিদের বিরিয়ানি’। শুভ নববর্ষ। শান্তিতে-সমৃদ্ধিতে. সুখাদ্যে-সুবাসে ভরে উঠুক বাংলাদেশ। লেখক: লোকসংস্কৃতি–িবষয়ক গবেষক | 1,572,741 |
2019-01-01 | নতুন নুসরাত | নতুন আমি | null | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572738/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4 | life-style | print | 2 | নকশা|রূপচর্চা | প্রথম আলোর সবগুলো ট্যাবলয়েড খুঁটিয়ে পড়া নুসরাত জাহান শখ করেই নকশার ‘নতুন আমি’ বিভাগে ছবি মেইল করেন। মেইল করার ছয় ঘণ্টা পরেই এ বিভাগ থেকে ফোন কল পেয়ে অবাক হয়ে পড়েন। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগের দিন মেকওভারের কথা শুনে একটু দ্বিধান্বিত ছিলেন। একটু সময় চেয়ে নিজেই ফোন করলেন. জানালেন তিনি আসবেন।নুসরাতের মেকওভারের দায়িত্বে ছিলেন রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। তিনি বলেন. ‘আটপৌরে চেহারার নুসরাতকে একটা ভিন্নধর্মী আধুনিক লুক দিতে চেয়েছি। কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে সেটা ঠিকঠাক ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’ সেই চেহারার সঙ্গে মিলিয়েই তাঁর পোশাক নির্বাচন করা হয়েছে পশ্চিমা ধাঁচে। নুসরাত জাহান শাড়ি আর সালোয়ার–কামিজ পরতে বেশি পছন্দ করলেও এখানে তাঁকে পরানো হয়েছে নীল রঙের ফরমাল প্যান্টের সঙ্গে সবুজ টি-শার্ট ও ধূসর রঙের ওপর সোনালি কাজ করা জ্যাকেট।চুলএকরাশ লম্বা হালকা কোঁকড়া চুলে দেওয়া হয়েছে বব কাট।মেকআপহালকা মেকআপে চোখে স্মোকি ভাব আনা হয় এবং ঠোঁটে দেওয়া হয় বাদামি ও লাল রঙের লিপস্টিক।গ্রন্থনা: অলকানন্দা রায় ‘নতুন আমি’প্রিয় পাঠক. নকশা ‘নতুন আমি’বিভাগের মাধ্যমে আগ্রহী পাঠকদের মেকওভার করে দেওয়া হবে। খ্যাতিমান রূপবিশেষজ্ঞদের হাতে তিনি হয়ে উঠবেন ‘নতুন আমি’। এ বিভাগে ছেলে ও মেয়েরা অংশ নিতে পারবেন। ছবি ও পূর্ণ নাম. ঠিকানা. ফোন নম্বর পাঠিয়ে দিন নকশায়।ই–মেইল: [email protected]ঠিকানা: নকশা. প্রথম আলো. ২০-২১ প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন. কারওয়ান বাজার. ঢাকা-১২১৫।ই–মেইলের সাবজেক্টে বা খামের ওপর লিখতে হবে ‘নতুন আমি’ | 1,572,738 |
2019-01-01 | এ বছর ফিরবে সত্তরের স্টাইল | চলতি ধারা | আসিফ ইকবাল | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572734/%E0%A6%8F-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2 | life-style | print | 2 | ফ্যাশন|নকশা | ফ্যাশনে ছেলেদের পোশাক নিয়ে তো কম নিরীক্ষা হচ্ছে না। প্রতিবছর কিছু না কিছু যুক্ত হচ্ছে। আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে কোথায় কী চলছে. সেটা সহজেই জানা যায়। আন্তর্জাতিকভাবে যেসব ফ্যাশন ব্র্যান্ড বেশি জনপ্রিয়. তারা প্রতিবছর ফ্যাশনের নতুন নতুন ধারা তৈরি করে। সাধারণত আমাদের দেশে সেই ধারা এক বছর পর দেখা যায়। তবে এই দূরত্ব আরও কমে এসেছে। ২০১৯ সালের ফ্যাশন বা স্টাইল নিয়ে তো আরও ছয় মাস আগে থেকেই কাজ চলছে। অনেকের মনই কৌতূহলী. কী আসছে নতুন বছরে?তাদের জন্য বলে রাখা ভালো. ছেলেদের ফ্যাশনে এ বছরের পুরোটা সময় দাপিয়ে বেড়াবে সত্তর দশকের ফ্যাশন আর স্টাইল। সত্তর দশকে বনেদি পরিবারের পুরুষদের প্রধান আকর্ষণ ছিল তৈরি করে নেওয়া পোশাকে। সেই ‘টেইলারিং’ অর্থাৎ মাপমতো বানিয়ে নেওয়া পোশাক এবার বড় জায়গা দখল করে নেবে ছেলেদের ফ্যাশনে। অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতেও এই ধারা বেশ বড়সড় আকারে দেখা যাবে। বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাই ‘টেইলরিং’ অংশ যুক্ত করছে তাদের বুটিকের সঙ্গে। আমাদের দেশের পোশাকও এখন আন্তর্জাতিক ধারার সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি হয়। আর এই মেলানোর প্রচলনটা বেশি দেখা যায় শীতের সময়। গরমে কিছুটা কম। তবে গরমের সময়েও টি–শার্ট জাতীয় পোশাক মিলিয়ে তৈরি হয়। এখন যেমন আন্তর্জাতিক ফ্যাশনে ছেলেদের সুটে ডাবল ব্রেস্ট প্লেট খুব চলবে। একই সঙ্গে চেকের নকশা এখন ঢুকে গেছে পুরোপুরি। আজকাল নানা ধরনের মোটিফ দেখা যায় ছেলেদের পোশাকে। পোশাকে যেসব মোটিফের সঙ্গে আমাদের দেশের ডিজাইনাররা খুব কম পরিচিত ছিল। কুমির. বিড়াল. প্রজাপতি. বাঘসহ নানা রকম পশুপাখি. ফুল ইত্যাদি। যেটা সাধারণত চীন বা জাপানের মতো দেশে দেখা যেত। অথচ এসব মোটিফ নিয়ে এখন বিশ্বের বড় বড় সব পোশাক প্রতিষ্ঠানই নকশা করছে। এর মূলে একটি অঞ্চল বা দেশের ‘ডমিনেটিং পাওয়ার’ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। যেমন অর্থনৈতিক শক্তি (নিউ মানি) হিসেবে চীনকে এখন সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে অধিকাংশ দেশ। তাই পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই দেশের বাজার দখলে তাদের মোটিফকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে কাজ করছে। ফ্যাশনের ভূগোলে অর্থনীতি ও রাজনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ছেলেদের পোশাকে রং খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। গত বছর যেমন বেশি চলেছে সবুজ রং। এবারও সেখানে থেকে খুব বেশি সরেনি। এবার সবুজেরই নানা শেড বেশি দেখা যাবে পোশাকে। এর মধ্যে বটল গ্রিন. অলিভ গ্রিন. সি গ্রিন. লিফ গ্রিন. টার্টেল গ্রিন. লাইম গ্রিন. ডার্ক গ্রিন. ফরেস্ট গ্রিন ইত্যাদি থাকবে। এর বাইরে যে রংই ব্যবহৃত হোক. সেটা সরাসরি না করে. তার একটি শেড বেছে নিয়ে তৈরি হবে। বিশ্বের বেশ কিছু ব্র্যান্ড যেমন লম্বা পোশাকের ধারণা নিয়ে এগোচ্ছে. কিছু ব্র্যান্ড আবার এগোচ্ছে খাটো থেকে খাটোর দিকে। আমাদের দেশেও পাঞ্জাবিতে পাশপাশি দুটি ধারা চলছে। একটি লম্বা আর ঢিলেঢালা. আরেকটা হচ্ছে খাটো ও ফিটিং। পাঞ্জাবির সঙ্গে কটির ধারা এবারও থাকবে। শার্টের সঙ্গেও পরা হবে কটি। তবে পাঞ্জাবির প্যাটার্নে থাকবে পরিবর্তন। টি–শার্ট ও শার্টের নকশায় তেমন কোনো পরিবর্তন নেই এ বছর। গত বছরের ধারাতেই পশুপাখির প্রিন্ট চলবে। তবে শার্ট বা টি–শার্টের কাপড় নিয়ে নানা ধরনের নিরীক্ষা চলবে বছরজুড়ে। শীতে কতটা মোটা করা যায় এবং গরমে তা কতটা আরামদায়ক হবে—এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলবে। এর একটি পরিবর্তনও দেখা যাবে পোশাকে।সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এবার ছেলেদের ফ্যাশনে বেশি গুরুত্ব পাবে জুতা। আমাদের দেশি চামড়া দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব জুতা। শুধু চামড়ার জুতা নয়. কাপড় বা মখমলের মতো আরও নানা উপকরণে জুতা তৈরি হচ্ছে। মখমলের ওপর জরদৌসি কাজ করে জুতার জমকালো ভাব আনা হচ্ছে। প্যান্টের কাপড় ওয়াশ করে রং হালকা বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। জিনস বা গ্যাবার্ডিনের কাপড়ে হচ্ছে নানা রকম ওয়াশ। নরম আর আরামদায়ক প্যান্ট চলবে পুরো বছর। আরেকটি পরিবর্তন বেশ চোখে পড়বে. সেটা ছেলেদের ব্যাগে। ওয়ালেট বা মানিব্যাগ নয়. এই ব্যাগ মানে হাতব্যাগ। মাঝারি আকারের এই ব্যাগ হাতে ছাড়াও কাঁধ থেকে পেছনে ঝুলিয়ে নেওয়া যাবে। লেখক: ফ্যাশন পরামর্শক. ওটু | 1,572,734 |
2019-01-01 | আমরা আশায় থাকব | স্বদেশ ২০১৮ | মহিউদ্দিন আহমদ | ৫ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572733/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AC | opinion | print | 2 | রাজনীতি|দিবস|মহিউদ্দিন আহমদ | ২০১৮ সালে বছরজুড়ে বাংলাদেশে জন–আলোচনায় ছিল রাজনীতি। সবাই রাজনীতি করেন না। তবু মানুষের কৌতূহল. চাওয়া. না–পাওয়া ও ক্ষোভ—সবই রাজনীতিকে ঘিরে। ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ও প্রক্রিয়ার সাক্ষী আমরা। শুরুতে নিয়মিত সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা এবং আদালতে তাঁর দৌড়াদৌড়ি। একপর্যায়ে তাঁর সাজা হলো। তিনি গ্রেপ্তার হলেন। তাঁর রাজনৈতিক উত্তরসূরি তারেক রহমান ভিন্ন মামলায় আগেই দণ্ডিত হয়েছিলেন। আইনের ভাষায় তিনি ‘ফেরার’। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার প্রাথমিক রায়ে তাঁর হলো আজীবন কারাদণ্ড। ১০ বছর আগে ‘মাইনাস টু’ ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় এটি ভালোভাবেই কার্যকর হলো বিএনপিতে। অভাবনীয় কিছু না ঘটলে রাজনীতিতে তাঁদের ফিরে আসা কঠিন। বলা চলে. বিএনপিতে খালেদা-তারেক যুগের অবসান হয়েছে। পরিবারতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য ও আবেগ সরিয়ে রেখে এ উপলব্ধি যত শিগগির আসবে. বিএনপি তত নতুনভাবে সংগঠিত হওয়ার সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবে। ২০১৮ ছিল নির্বাচনের বছর। আগস্ট মাসে কয়েকটি সিটি করপোরেশনে দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনের একটি মহড়া হয়ে যায়। বিরোধীপক্ষ কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। এ ছিল ‘শান্তিপূর্ণ কারচুপির’ একটি নমুনা। সরকারপক্ষ বলেছে. ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং জাতীয় নির্বাচন এ রকমই হবে। পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন সারা বছরই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে কমিশনাররা একমত হননি। মাঝেমধ্যে তাঁরা প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়েছেন। জাতীয় রাজনীতির বিভাজন নির্বাচন কমিশনের মধ্যেও দেখা গেছে। বিশেষ করে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার এবং সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে একেক সময় একেক রকম কথা বলে তাঁরা অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। অনেক সময় তাঁদের অতিকথন দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে শুরু হওয়া দ্বিদলীয় রাজনীতির দ্বন্দ্ব এ বছরে হয়েছে তীব্রতম। সমন্বয় ও সহাবস্থানের সম্ভাবনা প্রায় নিঃশেষিত। এই দ্বন্দ্বের সর্বগ্রাসী থাবা বিস্তারিত হয়েছে সমাজের সব অংশে। সব পেশাজীবী সংগঠন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বছরটি শেষ হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি দল ও মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীজট নিয়ে মুখরোচক আলোচনা ছিল। ৯৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৪১ জন। তাঁদের অনেকেই পরে নিয়মের বেড়াজালে পড়ে বাদ পড়েছেন। হলফনামায় দেখা গেছে. ফৌজদারি মামলা আছে এমন প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আইনের ফাঁকফোকর ডিঙিয়ে অনেকেই পার পেয়ে গেছেন। নির্বাচনে সমতল মাঠ নিয়ে আলোচনা ও অভিযোগ ছিল বিভিন্ন মহলে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের চেয়ে সরকারকেই বেশি তৎপর হতে দেখা গেছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন দল ও জোটের আলোচনা হয়েছে নির্বাচন–সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে। এটি প্রাক-নির্বাচনী সংলাপ হিসেবে গণমাধ্যমে গুরুত্ব পেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের এ ধরনের সরাসরি ও মুখোমুখি বসা ও আলোচনা এর আগে দেখা যায়নি। নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট আরও বিস্তৃত হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে একদা শত্রুশিবিরের বিকল্পধারা বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় গেছেন একদা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা কয়েকজন। তৈরি হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একসময় তৃতীয় শক্তি বা বিকল্প হিসেবে যাঁরা দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন. তাঁদের কেউ কেউ গেছেন ধানের শীষে. কেউ কেউ সওয়ার হয়েছেন নৌকায়। পছন্দের দলের মনোনয়ন না পেয়ে বেশ কয়েকজন দল পাল্টে প্রতিপক্ষ শিবিরে ঢুকে পড়েছেন। আদর্শের রাজনীতির চিরচেনা চাদরটি তাঁরা অবলীলায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। ব্যাপারটি দৃষ্টিকটু হলেও এ নিয়ে তেমন মাতম হয়নি। কারণ দুই জোটের ক্ষেত্রেই এটি হয়েছে. কম আর বেশি। প্রধান প্রধান দল ও জোট ডিসেম্বরের শেষার্ধে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। আওয়ামী লীগ টানা ১০ বছর ক্ষমতায় আছে। দলটি বলছে. ‘একটি আধুনিক. প্রযুক্তিনির্ভর. দক্ষ দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক গণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত থাকবে।’ তাদের মুখ্য স্লোগান হলো উন্নয়ন। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে আছে ১২ বছর। তারা জোর গলায় ‘সুশাসনের’ কথা বলছে. ‘কর্তৃত্ববাদী’ ও ‘কেন্দ্রীভূত’ ক্ষমতার পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্যে কিছু সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। দুটো ইশতেহারেই জন–আকাঙ্ক্ষার কম–বেশি প্রতিফলন হয়েছে। তবে অগ্রাধিকার পাবে কোনটি. তা দুই প্রধান দলের প্রস্তাবে স্পষ্ট। দলীয় মনোনয়নে দুই শিবিরেই পুরোনো মুখের ছড়াছড়ি। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগ আছে। নতুন জাতীয় সংসদের গুণগত মান পুরোনো সাংসদদের নিয়ে কেমন হবে. তা নিয়ে কৌতূহল ও শঙ্কা থেকেই যাবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বে নারী থাকলেও দলীয় মনোনয়নে তাঁরা অপাঙ্ক্তেয় থেকে গেলেন। বিগত বছরগুলোতে আর্থসামাজিক খাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে অনেক। সবাই চান. এই ধারা অব্যাহত থাকুক। সুশাসনের দাবিটি মৌলিক নাগরিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। এটি এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। ভবিষ্যতে এ দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় ও ভারসাম্যের চ্যালেঞ্জটি বড় হয়ে দেখা দেবে। দলীয় সরকারের অধীনে অতীতে সব নির্বাচনে ক্ষমতাসীনেরাই জয়ী হয়েছেন। এবারও সে রকম পূর্বাভাস ছিল। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তা সত্য হলো: একচেটিয়া ভোটে বিপুল বিজয় ঘটেছে আওয়ামী লীগের। বিপরীতে বিএনপির এতটা খারাপ ফলাফল ভাবনাতীত ছিল। আশঙ্কা থেকে যাবে বিরোধী দলবিহীন একটি অকার্যকর সংসদের। মনে করা হয়েছিল যে এই নির্বাচন বিএনপির জন্য হবে সংসদীয় রাজনীতিতে ফিরে আসার লড়াই। কিন্তু সংসদে তাদের উপস্থিতি এবার জাতীয় পার্টিরও পেছনে চলে গেল। আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ও বিএনপির ভরাডুবির ফলে বাংলাদেশে আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি যুগের সমাপ্তি ঘটল বলে মনে হয়। আর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক অস্তিত্ব বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিঃশেষিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বৃত্তের বাইরে একটি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির চাহিদা ও উপযোগিতা থেকেই যাবে। নতুন কোনো রূপে এ ধরনের শক্তি জন্ম নিতে পারে। আওয়ামী লীগের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হবে একক শক্তিতে গণতন্ত্রায়ণের পথটি মসৃণ করে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসা। জনযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া দেশটি এখনো সব নাগরিকের রাষ্ট্র হয়ে ওঠেনি। একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দলতন্ত্র। কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির অনুষঙ্গ হিসেবে কেউ বলেন গণতন্ত্র দেবেন. কেউ বলেন উন্নয়ন। গণতন্ত্র মানুষের জন্মগত অধিকার. এটি কেউ কাউকে দিতে পারে না. বরং কেড়ে নেয়। আর উন্নয়ন কারও দয়ার দান নয়। এটি সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। গণতন্ত্রের অবাধ অনুশীলন ও দায়িত্বশীলতার অনুঘটক হবে রাষ্ট্র. এটাই সবার চাওয়া। ১৯৭০ সালে জয় বাংলা নামে একটি চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত একটি গানের লাইন ছিল: ‘নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়’। আমরা আশায় থাকব. এবার উঠবে নতুন সূর্য। | 1,572,733 |
2019-01-01 | নতুন বছর নতুন ঘর | null | গুলশান নাসরীন চৌধুরী | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572732/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%98%E0%A6%B0 | life-style | print | 2 | নকশা|গৃহসজ্জা|আবাসন মেলা | সারা দিন শেষে মন যেখানে শান্তি খুঁজে পায়. স্বস্তি খুঁজে পায়—আমাদের সাজানো–গোছানো আবাসস্থল। হতে পারে সেটা একটি বিশাল বাড়ি. হতে পারে সেটা একটি বড় ফ্ল্যাট অথবা ৮০০ থেকে এক হাজার স্কয়ার ফিটের একটি ছোট ফ্ল্যাট। সামর্থ্য ও রুচি অনুযায়ী বাড়িকে সাজাই আমরা। বসবাসের জায়গাটা ছোট হোক অথবা বড়. সেটা যদি হয় ছিমছাম আর পরিপাটি. বাড়িতে ঢুকলেই মন ভালো হয়ে যাবে।কেউ যদি দেশীয় পণ্য দিয়ে ঘর সাজাতে চান. তবে সে ক্ষেত্রে ডিজাইনার বাঁশ. বেত. পাট. মাটির পটারি. নকশিকাঁথা. শতরঞ্চি. শীতলপাটি. গ্রামীণ চেকের কাপড় ইত্যাদি ব্যবহার করেও ঘর সাজাতে পারেন। যেমন একটা ফ্ল্যাটে ঢোকার মুখে. দরজার বাইরের দেয়ালে একটু গাঢ় রং ব্যবহার করতে পারেন। বেতের বা কাঠের ফ্রেমের আয়না ঝোলাতে পারেন। অতিথি বা বাড়ির সদস্যরা বাসায় ঢোকার আগে নিজেকে একটু দেখে নিতে পারেন। আয়নার পাশে দেয়ালে টেরাকোটা দেয়াল শো–পিস লাগতে পারে। আবার কাঠের বা বড় আয়রনের র্যাক ঝুলিয়ে. তাতে ছোট ছোট পটে মানিপ্ল্যান্ট. ক্যাকটাস বা অন্য কোনো গাছ লাগাতে পারেন। স্বাগতমে দেশীয় ছোঁয়াবসার ঘরে আমরা বেতের বা বাঁশের সোফা ব্যবহার করতে পারি। সোফার কভার হিসেবে আমরা এক রঙের হ্যান্ডলুমের কভার ব্যবহার করতে পারি। সঙ্গে রং মিলিয়ে জানালায় গ্রামীণ চেক পর্দা মানিয়ে যাবে। সোফা ব্যাক. সেন্টার টেবিল ও পাশ টেবিলে কুশ কাটার তৈরি কভার ভিন্নতা আনবে। পর্দা. সোফার কভার ইত্যাদির সঙ্গে মিলিয়ে শতরঞ্চি বিছিয়ে দিন। বসার ঘর সাজাতে নানা আকারের পটারি সুন্দর লাগবে। ঋতু অনুযায়ী নানা রঙের তাজা ফুলে সাজাতে পারেন। বসার ঘরের একদিকে আরেকটা শতরঞ্চি বিছিয়ে তাতে ছোট–বড় কুশন রাখা যেতে পারে। এতে বসার জায়গা বাড়বে। একসঙ্গে অনেক মানুষ বসতে পারবে। খাবার ঘর সাজাতে প্রয়োজন হবে খাবার টেবিল ও চেয়ার। এটা কাঠের. বেতের. রট আয়রন বা কাচের টপ দেওয়া হতে পারে। চেয়ারগুলোও টেবিলের সঙ্গে মানানসই হবে। চেয়ারের কভার ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে. সে ক্ষেত্রে জানালার পর্দা ও টেবিলক্লথ হিসেবে দেশীয় কাপড়ে ব্লক বা ছাপা নকশার হতে পারে। টি ট্রলি হিসেবেও কাঠের বা বেতের ব্যবহার করা যেতে পারে। শোয়ার ঘর সাজাতেশোয়ার ঘরের আসবাবপত্র বাঁশ. বেত বা কাঠের হবে। ঘরের এক কোণে ল্যাম্পশেড ব্যবহার করা যাবে. শেডটি বাটিক কাপড়ের ব্লকের বা বেতের হতে পারে। তিন উচ্চতার তিনটি ল্যাম্পশেড থাকতে পারে। এর নিচে মাটির চাঁড়িতে ভাসমান ফুল অথবা মোমবাতি থাকতে পারে। দেয়ালে পেইন্টিং ঝোলালে ভালো লাগবে। এ ঘরেও পর্দা ও বিছানার চাদর হিসেবে দেশীয় কাপড় ব্যবহার করলে ভালো লাগবে। শোয়ার ঘরে নীল. সাদা রঙের পর্দা ও বিছানার চাদর ভালো লাগবে। বাচ্চাদের ঘরে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার করা ভালো। এতে তারা উৎফুল্ল থাকে। এ ছাড়া দেয়াল. পর্দা. চাদর ইত্যাদি সহজে ময়লা হয় না। শিশুদের ঘরে বেশি আসবাবপত্র না থাকাই ভালো। ঘরটি খোলামেলা থাকলে তাদের খেলাধুলা করতে সুবিধা হবে। রান্নাঘরের জন্যরান্নাঘর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে চুলার ওপরে কিচেন হুড ব্যবহার করতে হবে। দেয়ালে অ্যাডজাস্ট ফ্যান লাগান। এ দুটো ব্যবহার করলে রান্নাঘরের তেল চিটচিটে ভাব এবং ভাজা-পোড়ার গন্ধ থাকবে না। যাঁরা দেশীয় স্টাইলে ঘরবাড়ি সাজান. তাঁরা টেরাকোটা. চায়না ক্লে. কাঠের. বেতের বা হোগলাপাতার তৈরি বাসনকোসন. তৈজসপত্র ব্যবহার করেন। এই বাড়িতে ফলস শিলিং তৈরিতেও বাঁশ বা বেতের ব্যবহার করা যেতে পারে। কেউ যদি বেশি খরচে বাড়ি সাজাতে চান. তবে সেটাও সম্ভব। তবে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে আমি মনে করি. ফ্ল্যাট ছোট বা বড় যেটাই হোক না কেন. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে. গুছিয়ে রাখলে. গাছপালার বা ফুলের টব থাকলে বাড়িটিকে সুন্দর লাগবে। নতুন বছরে বাড়িতে পরিবর্তন আনবে আসবাবপত্রের একটু জায়গা বদল। জানালার পর্দাগুলোও কিন্তু ঘরের চেহারা পরিবর্তন করতে পারে। শেষ করতে এসে আবারও বলি. ‘সুন্দর মনের’ প্রতিচ্ছবিই হলো ‘সুন্দর ঘর’। দিনের শেষে আমরা আমাদের প্রিয়জনদের নিয়ে শান্তিতে. আনন্দে ও নিশ্চিন্তে থাকতে চাই ঘরেই। ঘরটিকে এ কারণে সাজানো উচিত মনের মতো করেই।লেখক: চেয়ারম্যান. রেডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন | 1,572,732 |
2019-01-01 | ৬ মাস নির্বাচনী পাহারাদার হোন | জাতীয় নির্বাচন | মিজানুর রহমান খান | ৫৫ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572730/%E0%A7%AC-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%A8 | opinion | print | 2 | রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|নির্বাচন|মিজানুর রহমান খান | ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়ে গেল। এই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ বা আপত্তির বিষয়গুলো আমরা জেনেছি। এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষেরও নানা প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু শুধু প্রশ্ন তোলা বা অভিযোগ করলেই কোনো নাগরিক বা দলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। একজন দলীয় বা নির্দলীয় ভোটার কোনো অনিয়মের কারণে সংক্ষুব্ধ হতেই পারেন। ভোটের দিন চলে গেলেই এর প্রতিকার চাওয়ার বিষয়টি শেষ হয়ে যায় না। ভোটের দিনের যেকোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আপনি আইনি প্রতিকার চাইতে পারেন। তবে এটা আপনাকে অপরাধ সংঘটনের ৬ মাস বা ১৮০ দিনের মধ্যে চাইতে হবে। এটা কতটা বাস্তবানুগ. সেই প্রশ্ন থাকতে পারে. কিন্তু আপনি আইনের আশ্রয় নিতে বিমুখ থাকবেন. সেটা যুক্তি নয়। উত্তম বিকল্প তাহলে কী? তাই সত্যিই কোনো অনিয়ম ঘটলে. তার প্রমাণ সংগ্রহ করুন। ৬ জানুয়ারির মধ্যে ইসি গেজেটে ফল প্রকাশ করবে। এই ফল প্রকাশ মানেই অনেকের ধারণা. কারও প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক হবে। কিন্তু আইন তা বলছে না। যাঁরা জয়ী হলেন. তাঁরা সাংসদ পদ হারাতে পারেন। যাঁরা পরাজিত. তাঁদের প্রার্থিতাও ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ গণ্য হতে পারে। শুধুই প্রার্থিতা বা সাংসদ পদ নয়. নির্বাচনের দিনের কোনো জালিয়াতির অপরাধ প্রমাণিত হলে অনধিক সাত বছর এবং কমপক্ষে ছয় মাস জেল হতে পারে। নির্বাচনী ব্যয় ছিল প্রার্থীপ্রতি অনধিক ২৫ লাখ টাকা। এই টাকা একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক থেকে ভাউচার রেখে খরচ করার কথা। ফল গেজেট প্রকাশের পর ৩০ দিনের মধ্যে তাঁরা এটা জমা দেবেন। এ–সংক্রান্ত ব্যয়ের বিবরণীগুলো প্রত্যেক প্রার্থীকেই দিতে হবে। ডিসি অফিসে গিয়ে তা দেখা যাবে। আইন বলেছে. নাগরিকেরা এটা দেখবেন বলে খুলে রাখতে হবে। ১২০ দিন খোলা থাকবে। সুতরাং ভোট দিলেই নাগরিক দায় শেষ হয় না। পাবনা ও বগুড়ায় নির্বাচনী এজেন্ট বের করে দেওয়া. প্রকাশ্যে সিল মারা. ভয়ভীতি দেখানো—এমনকি আগের রাতে ‘৮০ শতাংশ’ ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করার মতো অভিযোগ এনেছে বিরোধী দল। নাগরিক হিসেবে কেউ ভোট না দিতে পারলে তার প্রতিকারের চেষ্টা তাঁকেই করতে হবে। আপনার সম্পদ চলে গেলে আপনি তা ফিরে পেতে লড়াই করেন। ভোটও আপনার সম্পদ। আপনার মালিকানার বিষয়। আপনাকে তাই ভোটের পাহারাদার হতে হবে। এই লড়াই ভোটের দিন সূর্যাস্তের পরে শেষ হয়ে যায় না। আগামী পাঁচ বছরে যেকোনো দিনই নির্বাচিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অযোগ্য হতে পারেন। এমনকি ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা. নির্বাচনী এজেন্টসহ পুলিশের কারও অসদাচরণের জন্যও শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। নিয়ম হলো. কিছু অপরাধের বিচার করবেন হাইকোর্টের বিচারকদের সমন্বয়ে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল। আর কিছুর বিচার হবে নিম্ন আদালতে। তবে সে জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইসির অনুমোদন লাগবে। ভোটারদের উচিত কোনো অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে ইসির কাছে অভিযোগ করা। এটা সাধারণত আনা হয় না বলে ইসির ওপর কোনো চাপ তৈরি হয় না। সবারই ধারণা. সব প্রতিকার বুঝি ভোটের দিনটা পার করতে পারলেই তামাদি বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। সেটা কিন্তু নয়। হাইকোর্ট গোটা নির্বাচন বাতিল করতে পারেন। আপনারা ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল রেকর্ড—এসব অভিযোগের কাজে লাগানো সম্ভব। কারণ. নতুন আইন এটাকে বৈধ করেছে। হাইকোর্ট বিভাগে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারে ১৯০৮ সালের কোড অব সিভিল প্রসিডিউর এবং ১৮৭২ সালের এভিডেন্স অ্যাক্ট বা সাক্ষ্য আইন চলবে। অন্যান্য মামলার বিচারের চেয়ে নির্বাচনী বিরোধের বিচারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে. যাতে দীর্ঘসূত্রতা না ঘটে। এ জন্য আইন বলেছে. হাইকোর্ট বিভাগ যখন বিচার শুরু করবেন. তখন কেবল ন্যায়বিচারের স্বার্থ ব্যতিরেকে এর বিচারকার্য স্থগিত বা মুলতবি করা যাবে না। তবে ন্যায়বিচারের স্বার্থ কী. সেটা বিচারক নিজেই নির্ধারণ করবেন। নির্বাচনী মামলার ডকুমেন্ট বা নথিপত্র কোনো ক্ষুদ্র কারণে অগ্রহণযোগ্য বলে আদালত বিবেচনা করতে পারবেন না। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণকালে আপনি কাকে ভোট দিয়েছেন. সেই তথ্য প্রকাশে বিচারক আপনাকে বাধ্য করতে পারবেন না। অনেকের ধারণা. রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বৈধ করেছেন এবং আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে. সুতরাং ভোটের পরে কারও প্রার্থী হওয়ার বৈধতার প্রশ্ন আর তোলা যাবে না. সেটি কিন্তু ঠিক নয়। আপিল বিভাগ যেসব প্রশ্ন মীমাংসা করেছেন. সেগুলোর সবটাই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ। আরপিওর ৬৩ অনুচ্ছেদে লেখা আছে. হাইকোর্ট বিভাগ কোনো নির্বাচনের প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন. যদি তিনি দেখেন যে যাঁকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে. তা বৈধভাবে দেওয়া হয়নি। ভোটের দিনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে উচ্চ স্বরে কথা বলাও নিষেধ ছিল। ঠিক কতগুলো কেন্দ্রে শান্তিভঙ্গ ঘটেছে. তার তালিকা হতে পারে। কোনো বিরক্তি সৃষ্টির অপরাধ প্রমাণ করতে পারলে কারও তিন বছর জেল হতে পারে। এসব বিধান আর কতকাল কেতাবেই থাকবে? কোনো ভোটারকে কোনোভাবে বিরক্ত করা যাবে না। কিন্তু সারা দেশে এভাবে বিরক্ত করার ভূরি ভূরি অভিযোগ আছে। এখানেও তিন বছরের জেলের বিধান আছে। আমরা ১১টি সংসদ নির্বাচন করেছি। অথচ আজ পর্যন্ত এসব ধারায় কোনো একটি মামলা পর্যন্ত হলো না। এটি একটি নাগরিক ব্যর্থতা। আড়াই কোটি তরুণ ভোটার রয়েছে. তারা যদি এবার বিরক্ত হয়ে থাকে. তবে এই ধারায় অভিযোগ করতে এগিয়ে আসতে পারে। এসব অভিযোগে অভিযুক্তকে ছয় মাসের নিচে কোনো দণ্ড দিতে আদালতের ক্ষমতাই নেই। এবারে নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছিল ইভিএম বিষয়ে। ইভিএম–সংক্রান্ত সফটওয়্যার বা এর কোনো কিছুতে যদি পরিবর্তন আনা হয়. তাহলে তার জেল সাত বছর। ইভিএম কোথাও কোথাও কাজ করেনি. এখানেও অনিয়ম ঘটার কথা উঠেছে। বেড়ায় আবু সাইয়িদ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক নির্বাচনী এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। আমাকে তিনি বেলা ১১টাতেই বলেছিলেন. তিনি সংবিধানের ১২৩ খ অনুচ্ছেদের আওতায় সংসদ ভেঙে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন ভোট চান। কোনো নির্বাচনী এজেন্টকে বা প্রার্থীকে কোনো দলের কর্মী বা নির্বাচনী কর্মকর্তা ভোটদানে বাধা দিলে তার শাস্তি সাত বছর জেল। কমপক্ষে ছয় মাস। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ভোট গ্রহণকারী কোনো কর্মকর্তা যদি ভোটের গোপনীয়তা নষ্ট করেন. তাহলে তাঁর পাঁচ বছর এবং কমপক্ষে তাঁর জেল হবে এক বছর। আরপিওর ৮৪ অনুচ্ছেদে পুলিশের জন্য শাস্তি নির্দিষ্ট রয়েছে। পুলিশকে যদি কোথাও কাউকে ভোট দিতে উৎসাহিত কিংবা বিরত রাখতে তৎপর হতে দেখা যায়. তাহলে ওই পুলিশের পাঁচ বছর জেল। কমপক্ষে এক বছর জেল হবেই। তবে এখানেই ইসির স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ. পুলিশ ও ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা জানেন. ইসির পূর্বানুমতি ছাড়া ভোটাররা মামলা করতে পারবেন না। কিন্তু ভোটারদের তাতে ভড়কে গেলে চলবে না। সারা দেশ থেকে অনুমতির জন্য আবেদন পেলে নির্বাচন কমিশনকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসি নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে কারও প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে। আইন বলেছে. বলপ্রয়োগ. ভীতি প্রদর্শন. চাপ সৃষ্টিসহ বিরাজমান বিভিন্ন অপকর্মের কারণে ন্যায়সংগত ও নিরপেক্ষভাবে এবং আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে তারা সক্ষম থাকবে। কোনো ব্যালট পেপার বাতিল বা গ্রহণসহ কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ পুনর্বিবেচনা করতে পারবে। আইন আরও বলেছে. ‘প্রাসঙ্গিক অন্যান্য আদেশ’ দিতেও তারা পারবে। ইসি চাইলে এখনো তদন্ত করতে পারে। আইনে পথ খোলা। নির্বাচন জাতির জীবনে আরও আসবে। মোট ভোটারের অর্ধেক তখন তরুণ হবে। আমরা যা পারিনি. তারা যাতে সেটা পারে. সেই পথ খুলে দিই। আইনে এসব যে আছে. তা তাদের জানিয়ে রাখা দরকার। এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করি না। এই প্রক্রিয়ায় যদি একটিতেও ফল পাওয়া যায়. সেটা এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভোটের দিনে ভিজিল্যান্স টিম. অবজারভেশন টিম. মনিটরিং টিম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল সক্রিয় ছিল। সবটার প্রধান ডিসি ছিলেন। তাদের জবাবদিহিটা নীরবে নাগরিকেরা করতে পারে। এই কমিটিগুলো অকার্যকর থেকেছে বলে ২০২৩ ও ২০২৮ সালেও থাকবে? একটি কমিটিতে ‘বেসরকারি পর্যায়ের দলনিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ’ অন্তর্ভুক্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু থাকেনি বলে কোনো দিন থাকবে না? সে জন্যই শুরুটা দরকার। মিজানুর রহমান খান. প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক[email protected] | 1,572,730 |
2019-01-01 | রূপচর্চায় ভুলভ্রান্তি | null | ফারিয়া এজাজ | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572729/%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF | life-style | print | 2 | রূপচর্চা|নকশা | না বুঝেই রূপচর্চা করতে গিয়ে অনেক সময় হয়ে যায় হিতে বিপরীত। রূপচর্চার ক্ষেত্রে কী কী এড়িয়ে যাওয়া উচিত. জানা থাকলে হবে না ত্বকের নানা সমস্যা। রূপবিশেষজ্ঞরা জানালেন রূপচর্চার ভুলভ্রান্তির কথা। হারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা এবং হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন অ্যান্ড হেয়ার কেয়ার ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমি জানালেন রূপচর্চার নানা বিষয়। স্ক্রাবসাধারণত ত্বকের চারটি ধরন রয়েছে। ত্বকের ধরনভেদে স্ক্রাবারও নানা রকম হয়ে থাকে। যেকোনো ধরনের ত্বকে সপ্তাহে দুই দিনের বেশি স্ক্রাব করা উচিত না। যাদের চামড়া খুব পাতলা ও ত্বক শুষ্ক. তাদের ১৫ দিন পরপর এক দিনের বেশি করা ঠিক না। কারণ. প্রতিদিন আমাদের ত্বকে যে মৃত কোষগুলো হয়. তা একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত জমে যাওয়ার পর তুলতে হয়। যদি প্রতিদিন স্ক্রাব করা হয়. তবে ত্বকের ভেতর আঁচড় কেটে যায়। ফলাফল ত্বকে স্বাভাবিকের তুলনায় খুব তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে যায়। তৈলাক্ত ত্বকে মাইল্ড স্ক্রাবার ছাড়া অন্য কোনো স্ক্র্যাবার ব্যবহার না করাই ভালো। স্ক্রাব দুই থেকে তিন মিনিটের বেশি করা উচিত নয়।ফেসিয়াল/প্যাক/ক্রিম/লোশনশুষ্ক ত্বকে ফেসিয়ালের জন্য যেকোনো টকজাতীয় ফল যেমন: লেবু. মাল্টা. কমলা ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে মধু ব্যবহার করলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। অ্যালোভেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ফুটন্ত পানিতে অ্যালোভেরা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর এর জেল্লা বের করে ত্বকে ব্যবহার করা উচিত। কাঁচা হলুদের রস বের করে জ্বাল দিয়ে তারপর ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়াও কাঁচা হলুদ সব ধরনের ত্বকের জন্য মানানসই নয়। কাঁচা হলুদের মধ্যে একধরনের তেল থাকে. যা আমাদের পরিবেশের সঙ্গে সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। এ জন্য অনেক সময় হলুদ ব্যবহারের পর ত্বক কালো হয়ে যায়।কাঁচা দুধ বা টকদই দিয়ে বানানো প্যাক ত্বকে ব্যবহার করা হলে অবশ্যই কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। ফল বা ফলের রস দিয়ে তৈরি ঘরোয়া প্যাকগুলো ব্যবহারের পর মিনারেল পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। কারণ. প্যাক ব্যবহারের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তখন অতিরিক্ত ক্লোরিনযুক্ত পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে ত্বকে বলিরেখা পড়ে যায়। ফলমূল দিয়ে বানানো ঘরোয়া প্যাক ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত বা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে। তবে বাজার থেকে কেনা প্যাক সাধারণত ১৫ মিনিটের বেশি ব্যবহার করা ঠিক না। অবশ্যই প্যাকের গায়ে যেই সময় উল্লেখ করা থাকবে. তা অনুসরণ করতে হবে।যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক হারবাল জাতীয় উপকরণ দুধ. মধু. টকদই বেসনের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত। দশ মিনিটের বেশি প্যাক লাগানো উচিত না। তৈলাক্ত ত্বকের প্যাক বা স্ক্রাবে মধু. বাদাম ব্যবহার না করাই ভালো। এতে করে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে যেকোনো কিছু প্রথমে ত্বকের কিছুটা অংশে পরীক্ষা করে তারপর ব্যবহার করুন। প্যাক. ক্রিম বা লোশন সার্কুলার মোশনে ব্যবহার না করে নাক থেকে কান পর্যন্ত. থুতনি থেকে কানের লতি পর্যন্ত. কপাল থেকে নাক বরাবর সংযোগস্থান পর্যন্ত ব্যবহার করা উচিত। কারণ. সার্কুলার মোশনে ত্বকে প্যাক. ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করলে একপর্যায়ে এসে চোখে বা ঠোঁটের কোনে বলিরেখা পরে যায়। মাথার ত্বকে প্যাকের ব্যবহারটকদই তৈরি হয় ভালো ধাঁচের ব্যাকটেরিয়া থেকে। এই টকদই যদি মাথার ত্বকে ব্যবহার করা হয়. তবে ফাঙ্গাস পড়ে যেতে পারে। আবার টকদই ও ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলেও ঠিক একই ধরনের সমস্যা হতে পারে। টোনারঘরোয়া টোনার ব্যবহার করাই ভালো। কারণ. বাজারের টোনারগুলোতে ত্যালাপিন ও অ্যালকোহল থাকে। তাই বাজারের টোনার গোলাপজল বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করাই ভালো। কারণ. বাজারের টোনারে অ্যালকোহল বা অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে। তাই সরাসরি ব্যবহারে এই উপাদানগুলো ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। খালি হাতে টোনার ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ. এতে করে টোনার লোমকূপ পর্যন্ত পোঁছাতে পারে না এবং এর ব্যবহারও কার্যকর হয় না। এ ছাড়াও টোনার সার্কুলার মোশনে বা ঘষে কখনোই ব্যবহার করা ঠিক না। মনে রাখা ভালো● মাথার ত্বকের ধরন না জেনে যেকোনো পণ্য ব্যবহার করা উচিত না।● ভালো করে না জেনেশুনে ত্বকের কোনো পণ্য কেনা ঠিক না।● আমাদের দেশের পরিবেশ বিবেচনায় পাউডার জাতীয় সানস্ক্রিন ভালো কাজ করে। কারণ. এতে করে লোমকূপ সুরক্ষিত থাকে ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশ করে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে না। তাই পাউডার জাতীয় সানস্ক্রিন ছাড়া ভিন্ন ধাঁচের সানস্ক্রিন ব্যবহার না করাই ভালো।● শীত ও গ্রীষ্মকালভেদে ত্বকের পণ্য ভিন্ন হয়ে থাকে। ত্বকের ধরন বুঝেই এই পণ্যগুলো ব্যবহার করতে হবে। | 1,572,729 |
2019-01-01 | শীতেই তো শতরঞ্জি | null | অলকানন্দা রায় | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572727/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF | life-style | print | 2 | নকশা|জেনে নিন | শত রঙের বাহারে রাঙা বলেই নামটা কি শতরঞ্জি? লাল-নীল-সাদা-হলুদ-কমলা—এমনি নানা রঙের সুতায় বোনা শতরঞ্জি একসময় রাজা-বাদশাহদের আভিজাত্যের প্রতীক কিংবা জমিদার. বিত্তবানদের ভোজের আসন হিসেবে ব্যবহৃত হলেও হাল আমলে সর্বস্তরের মানুষের ঘরের শোভা। শতরঞ্জি যেমন ঘরের শোভা বাড়ায়. তেমনি শীতের দিনে মেঝের হিম তাড়ানোরও একটি জুতসই উপাদান। তাই শীতের মৌসুমে শতরঞ্জির ব্যবহার যেন একটু বেশিই। শতরঞ্জি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ‘শতরঞ্জি’র বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম তেমনটাই জানালেন। বাসাবাড়ির সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজে শতরঞ্জির ব্যবহার বারো মাসজুড়েই। শতরঞ্জির ব্যবহার একেক ঘরে একেক রকম। কেউ মেঝে সাজাতে ব্যবহার করেন. কেউ দেয়াল. কেউ ম্যাগাজিন হোল্ডার. কেউবা ব্যবহার করেন খাবার আসন বা বসার আসন হিসেবে. শোবার জন্যও ব্যবহার করেন কেউ কেউ। বিভিন্ন নকশায় শতরঞ্জি হয়ে ওঠে নজরকাড়া—জানালেন শহিদুল ইসলাম। আরও যোগ করলেন. শতরঞ্জির নকশার মধ্যে রয়েছে জামদানি. জ্যামিতিক. কাটারি. পিলপা. আসমান-তারা. প্রজাপতি. নদীর ঢেউ. ফুল-পাতা. নাটাই. ঘুড়ির মোটিফ। এমনকি কারিগরেরা পাগলা-পাগলি নামের একধরনের নকশাও বুনে থাকেন এসব শতরঞ্জির জমিনে। শীতে প্রকৃতিতে যেন বিমর্ষ একটা ভাব ফুটে থাকে। তাই ক্রেতারা ঘর সাজাতে চাকচিক্যময় এসব শতরঞ্জি কেনেন। প্রাধান্য দেন অ্যাক্রিলিক কটন. অ্যাক্রিলিক উলে বোনা কোমল একটু আরামদায়ক শতরঞ্জিকে। পাটে বোনা শতরঞ্জির কদরও কম নয় বলে জানালেন শহিদুল ইসলাম। অ্যাসথেটিকস ইন্টেরিয়রের স্বত্বাধিকারী সাবিহা কুমু বলেন. শতরঞ্জির বুনন একটু মোটা বলে শীতকালে মেঝেতে এর ব্যবহার বেশ আরামদায়ক। ঘরের ভেতর হাঁটাচলায় পায়ে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না। এমনকি রান্নাঘর বা অন্য কোথাও মেঝেতে বসে যেসব কাজ করার থাকে. সেখানেও এর ব্যবহারে ঠান্ডা লাগার সমস্যাটা আর থাকে না। শীতকালে ঠান্ডার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোও যেহেতু একটা বড় বিষয়. তাই কোন ঘরে. কোথায়. কতটুকু জায়গায় শতরঞ্জি বিছানো হবে. তার ওপর নির্ভর করে নকশা. রং এবং শতরঞ্জির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ নির্বাচন—এমনটাই মনে করেন তিনি। সাবিহা কুমু বলেন. শতরঞ্জি আকারে খুব বেশি বড়সড় হয় না। তাই বসার ঘরে বেশি ফাঁকা জায়গা থাকলে কয়েকটা শতরঞ্জি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সেন্টার বা কর্নার টেবিল এর ওপর বসানো যেতে পারে। শিশুদের ঘর. শোবার ঘর. খাবার ঘর. এমনকি বারান্দার ফাঁকা জায়গা. যেখানে বিকেল কিংবা সন্ধ্যাগুলোতে চায়ের আড্ডা বসে. সেখানেও শতরঞ্জি বিছানো যেতে পারে। শীতের আমেজে সৌন্দর্যও ফুটে উঠবে শতভাগ। | 1,572,727 |
2019-01-01 | সুস্থ সুন্দর ২০১৯ | null | null | null | https://www.prothomalo.com/life-style/article/1572724/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF | life-style | print | 2 | নকশা|নতুন বছরের পৃথিবী | আরও একটা নতুন বছর। ২০১৯। নতুন সূর্য. নতুন আলো। নতুন আশা। নতুন বছর এলেই আমরা নতুন নতুন প্রতিজ্ঞা করি বা পুরোনো না মানা প্রতিজ্ঞাগুলোকে আবার নতুন করে পালন করার পণ করি ।এই যেমন এই বছর আমি রোজ হাঁটব. নিয়ম করে কিংবা রাত জাগব না। অথবা রাতের খাবার আগেভাগে খেয়ে নেব। তারপর? যেই কি সেই...। বছরটাও পুরোনো হতে থাকে. নিজের জীবনযাপনের প্রতিজ্ঞাও দুর্বল হতে থাকে। তবু নতুন বছরের শক্তি অনেক। পোশাকের নকশা থেকে ঘরের সাজ. চুলের কাট থেকে চোখের সাজ—নতুন বছরে সবাই যোগ করতে চায় নতুন কিছু। দেয় আগাম বার্তা। বছরজুড়ে চলে সেই আগাম বার্তার বাস্তবায়ন। নিজের কথাই ধরুন. ভাবছেন একঘেয়ে লাগছে বসার ঘরের সজ্জা। পর্দাটা বদলে দেবেন নতুন বছরে। আসবাব কমিয়ে কুশন দেবেন ছড়িয়ে. আর ঘরের বইয়ের তাকটা নতুন করে বানাবেন। এই অল্প পরিবর্তনেই কিন্তু ঘরের চেহারা যাবে পাল্টে। অতিথিরা ঘরে ঢুকেই বলবে. বাহ্ ঘরটা দারুণ লাগছে! নতুনের এই তো মজা! জানি সবচেয়ে কঠিন কাজ জীবন নকশা পাল্টে ফেলা। পোশাক. সাজ. অন্দরসজ্জা—এসব কিছু নতুন করে ভাবেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে-বিদেশে। আপনার চাই তথ্য এবং তা অনুসরণ করা। কিন্তু নিজের জীবনের নকশা নিজেই পাল্টে ফেলতে হয়। এ বড় ধৈর্যের কাজ। প্রথম আলোর নকশা কিংবা ইউটিউব খুললেই সালাদের রন্ধনপ্রণালি পাওয়া যাবে। কিন্তু রোজকার ভাত-রুটির বদলে সালাদ-সবজি খাওয়ার অভ্যাস করা চাট্টিখানি কথা নয়। ভোরবেলা ঘুম ভাঙার পর খালি পেটে পানি খাওয়া নাকি ভালো. আর ভরপেট খেয়ে উঠেই পানি না খাওয়াটা ভালো। জানি তো সবই। মানি কজনা? তবে আধুনিক রূপবিশেষজ্ঞরা বলেন. সৌন্দর্য নাকি আসবে সুস্থতা থেকেই। খাবারের পুষ্টি. জীবনযাপনের নিয়ম. চর্চা. নিজের যত্ন আর ধারাবাহিকতার ধৈর্য. পণ না ভাঙা—সব মিলেই নাকি সুস্থ থাকা. সুন্দর থাকা। নতুন বছরে নকশা তাই কামনা করে সব পাঠক সুস্থ থাকুক. সুন্দর থাকুক। ২০১৯ শুভ হোক। বিভাগীয় সম্পাদক নকশা | 1,572,724 |
2019-01-01 | লাখ ভোটের ব্যবধানে জয় | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. বরিশাল | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572721/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F | bangladesh | print | 2 | বরিশাল|একাদশ সংসদ নির্বাচন|সুজন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি | আওয়ামী লীগের দাপুটে প্রচারণা। অন্যদিকে মামলা ও ধরপাকড়ে কোণঠাসা বিএনপি। ভোটের দিনও মাঠ দখলে ছিল আওয়ামী লীগের। ফলাফল বরিশাল জেলার ছয়টি আসনের পাঁচটিতেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের একক প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। আরেকটি আসনে মহাজোটের নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে আওয়ামী লীগেরই আরেক শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়. এই আসনে ভোট পড়ার হারও অনেক কম। আবার যে পাঁচটি আসনে মহাজোটের একক প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন. তাঁরা লাখ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। বরিশালের যে আসনটিতে বিএনপির সঙ্গে লাঙ্গলের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়. সেটি বাবুগঞ্জ-মুলাদী উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৩ আসন। এ মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সাংসদ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ টিপু সুলতান। তাঁর প্রতীক ছিল নৌকা। জাতীয় পার্টি আসনটি উন্মুক্ত করে দিলে প্রার্থী হন সাবেক সাংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু। আর বিএনপির প্রার্থী ছিলেন জয়নুল আবেদীন। আসনটিতে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন যুবমৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আতিকুর রহমান। ফলাফলে দেখা যায়. গোলাম কিবরিয়া টিপু ৫৪ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম বিএনপির জয়নুল আবেদীন পান ৪৭ হাজার ২৮৭ ভোট। আর নৌকার শেখ টিপু সুলতান পান ১৯ হাজার ২১৯ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান ১২ হাজার ৯৫৫ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৯। এখানে ভোট পড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০। ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিপরীত চিত্র ছিল বাকি পাঁচটি আসনে। এই আসনগুলোতে ভোট পড়ার হার বেশি। এই পাঁচটি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে। প্রায় ৯১ শতাংশ। এখানে আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুক শামীম প্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার ভোটে বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ারকে হারিয়েছেন। বরিশাল-১ আসনে ভোট পড়েছে প্রায় ৮২ শতাংশ। এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। তিনি বিএনপির প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের চেয়ে দুই লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে বরিশাল-৪ আসনে. ৮১ দশমিক ৬০ ভাগ। এখানে আওয়ামী লীগের পংকজ দেবনাথ ২ লাখ ৩০ হাজার ভোটে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জে এমন নুরুর রহমানকে হারিয়েছেন। বরিশাল-৬ ও বরিশাল-২ আসনে ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। বরিশাল-৬ আসনের মহাজোটের নাসরিন জাহান বিএনপির সাবেক সাংসদ আবুল হোসেন খানকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ভোট ও বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মো. শাহে আলম বিএনপির সরফুদ্দিন আহমেদকে ২ লাখ ভোটে হারিয়েছেন। ভোটের ফলাফলে এমন তারতম্যের বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশাল নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম বলেন. বরিশাল-৩ আসনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বলে সেখানে ভোট পড়ার হার ও দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান কমে গেছে। এ থেকে বোঝা যায়. সেখানে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে এবং ফলাফলে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। বাকি পাঁচটি আসনে ভোট প্রাপ্তির ব্যবধান দেখে সহজে অনুমান করা যায়. সেখানে জন–ইচ্ছার প্রতিফলন অতটা হয়নি। এমন ফলাফল মানুষের বিশ্বাসকে নষ্ট করছে। এটা গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য হুমকি। যা রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। | 1,572,721 |
2019-01-01 | নির্বাচনে ১২ প্রার্থীর ভোট পাঁচ শয়ের নিচে | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. কক্সবাজার | ৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572720/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%B6%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87 | bangladesh | print | 2 | কক্সবাজার|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ২২ জন প্রার্থীর। প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটও না পাওয়ায় প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ১২ জনের ভোট পাঁচ শয়ের নিচে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়. কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন আটজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ধানের শীষের প্রার্থী ছাড়া অপর ছয় প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (৪২৫). স্বতন্ত্র তানিয়া আফরিন (২১৮) ও বদিউল আলম (৮৯). ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আলী আছগর (৫২২). বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মুহাম্মদ ফয়সাল (৭০) ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২৩১)। বিজয়ী আওয়ামী লীগের জাফর আলম পেয়েছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির হাসিনা আহমেদ পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৬০১ ভোট। কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ছাড়া অপর ৮ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাঁরা হলেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জামায়াতের এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ (১৮ হাজার ৫৮৭). বিএনপির আলমগীর মো. মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ (১১ হাজার ৭৮১). গণফ্রন্টের আনসারুল করিম (২১৫). বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু ইউসুফ মুহাম্মদ মনজুর আহমদ (১৪৭). ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জসিম উদ্দিন (১ হাজার ৬৩০). বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. শহিদুল্লাহ (৭১). ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (৫২০). বিকল্পধারা বাংলাদেশের শাহেদ সরওয়ার (৩৭৯) ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহ (৮৭)। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আশেক উল্লাহ রফিক পেয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৯১ ভোট। কক্সবাজার-৩ (রামু ও কক্সবাজার সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পাঁচজন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া অপর তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির মফিজুর রহমান (২৮৪). বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. হাছন (২৬৩) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আমিন (১ হাজার ১৬৯)। বিজয়ী আওয়ামী লীগের সাইমুম সরওয়ার কমল পেয়েছেন ২ লাখ ৫৩ হাজার ৮২৫। বিএনপির লুৎফর রহমান কাজল পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৭১৮। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছয়জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়া অপর চারজন জামানত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির আবুল মনজুর (১৮১). ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ শোয়াইব (১ হাজার ৫১২). ইসলামী ঐক্যজোটের রবিউল হোছাইন (২১৮) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাইফুদ্দিন খালেদ (৬৮)। বিজয়ী আওয়ামী লীগের শাহীন আক্তার পেয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৪ ভোট। নিকটতম বিএনপির শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১৮ ভোট। | 1,572,720 |
2019-01-01 | বিনা মূল্যে বই বিতরণ | এই সাফল্য উদ্যাপনযোগ্য | মন্তব্য | ১ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572718/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A3 | opinion | print | 2 | সম্পাদকীয়: | সোয়া চার কোটি মানুষ বাস করে—পৃথিবীতে এমন দেশের সংখ্যা খুব বেশি নয়। অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশাল দেশে জনসংখ্যা আড়াই কোটির অল্প কিছু বেশি। অতি আনন্দের কথা হলো. অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় অতি ক্ষুদ্র এই দেশটিতে আজ নতুন বছরের প্রথম দিনে সোয়া চার কোটি শিশু–কিশোরের হাতে যাবে নতুন পাঠ্যবই। অর্থাৎ আমাদের এই দেশে শুধু প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত যত শিক্ষার্থী আছে. তাদের সংখ্যাই বিশ্বের বহু দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি। এতসংখ্যক ছেলে–মেয়ের শিক্ষাদীক্ষায় সরকারি সুবিধা নিশ্চিত করা সহজ বিষয় নয়। শিক্ষান্বেষী সোয়া চার কোটি ছেলে–মেয়ে নতুন বইয়ের গন্ধে আজ বিভোর হবে। নতুন দিনের এক স্বপ্নের হাতছানিতে এগিয়ে যাবে তারা। এত শিশুর হাতে একসঙ্গে বই তুলে দেওয়া নিঃসন্দেহে এক মহাযজ্ঞ। সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে ‘বই উৎসব’ বলা হচ্ছে। এই অভিধাকে অত্যুক্তি বলার অবকাশ নেই। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের সব প্রস্তুতিকে সফলই বলা যায়। ইতিমধ্যে প্রায় সব বই ছাপার কাজ শেষ করে মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ২০১৯ সালের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য মোট ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২টি বই দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। বই উৎসব যাতে প্রতিটি শিশুর কাছে উৎসব হয়ে ধরা দেয়. তা নিশ্চিত করা দরকার। বই উৎসবের দিন যারা নতুন বই হাতে পায়. তারা মহা আনন্দে হাসতে হাসতে বাড়ি ফেরে। কিন্তু যারা বই পায় না. তারা বাড়ি ফেরে বিষণ্ন মনে। কাঁদতে কাঁদতে ফেরে। শিশুদের সেই আবেগের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার। একটি শিশুও নতুন বই পাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে না—এটি নিশ্চিত করতে পারলেই এই উৎসব সার্থক হবে। তাহলেই বিনা মূল্যে বই বিতরণে সরকারের সাফল্য প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। অন্যান্য বছর কোথাও কোথাও বই বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে আসতে দেখা গেছে। এটি অনভিপ্রেত। স্থানীয় পর্যায়ের অল্প কিছুসংখ্যক স্বার্থান্বেষী মানুষের এই তৎপরতা সম্পর্কে প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সজাগ থাকা দরকার। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে এত বড় মহাযজ্ঞের সাফল্য যাতে কলঙ্কিত না হয়. সেটি নিশ্চিত করতে হবে। | 1,572,718 |
2019-01-01 | স্বাগত ২০১৯ | null | বিশেষ প্রতিনিধি. ঢাকা | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572719/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF | bangladesh | print | 2 | দিবস|ইংরেজি নববর্ষ | সময় কখনো নিষ্ফলা যায় না। অনেক ঘটনার জন্ম দিয়ে অতীতের ঘরে জমা হলো আরও একটি বছর। গতকাল সোমবার বছরের শেষ দিনের সূর্যটা অকৃপণভাবে উজ্জ্বল সোনালি রোদ ছড়িয়েছে। একেবারে উদয়াস্ত। উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে গেছে পৌষের শীতে কাতর প্রাণিকুলে। সেই পথ বেয়ে আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে আরেকটি নতুন বছর। বদলে যাবে পুরোনো দিনপঞ্জিকা। আজ এবং আগামী দিনগুলোতে কল্যাণময় উজ্জ্বল দিনের প্রত্যাশায় স্বাগত ২০১৯। একেকটা বছর শেষ হয়ে এলে পাওয়া না–পাওয়ার একটা হিসাব–নিকাশ করতে আগ্রহ জাগে সবার মনেই। অতীতের ব্যর্থতাকে জয় করে একই সঙ্গে নতুন বছরের জন্য নতুন প্রত্যাশায় বুক বাঁধে। বিদায়ী ২০১৮ সালের সব অপ্রাপ্তি ও বেদনা ভুলে নতুন বছরের সেই প্রত্যাশা হোক শান্তি. সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য। শুরু হোক ঐক্যবদ্ধভাবে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি। নতুন বছর শুরুর প্রাক্কালে ফেলে আসা বছরের দিকে তাকালে জনজীবনে আলোড়ন তোলা অনেক ঘটনাই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গুম. খুন. আলোচিত দুর্নীতির বিচার এবং সব ছাপিয়ে গায়েবি মামলা। এর মধ্য দিয়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়েছে দেশ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বছরের শেষ দিকে গিয়ে রাজনীতিতে সৃষ্টি হয় নতুন এক মেরুকরণ। অবশেষে অনুষ্ঠিত হয় দেশে-বিদেশে বহুল আলোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নতুন বছরে শপথ নেবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নতুন সরকার। শুরু হবে নতুন লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলা। নতুন বছরে সবার প্রত্যাশা. সেই চলার পথে যেন সঙ্গী হয় দেশের প্রতিটি মানুষ। কাউকে পেছনে ফেলে কিংবা প্রত্যাখ্যান করে নয়. অগ্রগতির অংশ হোক ঐক্যবদ্ধ জাতি। নতুনের প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরকালের। সে জন্যই খ্রিষ্টীয় নববর্ষ এ দেশেও সার্বজনীনতা পেয়েছে। নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে খ্রিষ্টীয় বর্ষবিদায় ও নতুন বছর বরণ করে নেওয়ার অনুষ্ঠান। এর আরও কারণ. নতুনের মধ্যে থাকা অনন্ত সম্ভাবনা। নতুনের মধ্যে থাকে সামর্থ্য এবং পরিবর্তনের প্রয়াসও। পুরোনোর পুনরাবৃত্তি যখন মানুষের জীবন. সমাজ ও সংস্কৃতিতে অচলায়তনের দেয়াল তুলে দেয়. তখন সেখান থেকে মুক্তির পথ দেখায় নতুন। আজ নতুন বছরে সেই নতুনের আবাহনে মেতে উঠুক সমগ্র দেশ। বিগত বছরের ভুল সংশোধিত হোক। মন্দ ও কুৎসিত নিক্ষিপ্ত হোক আস্তাকুঁড়ে। ২০১৯ সালে ফিরে আসুক দেশের সব মানুষের শান্তি ও সমৃদ্ধি। | 1,572,719 |
2019-01-01 | স্বাগত ২০১৯ | নতুন বছরে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসুক | null | null | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572717/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AF | opinion | print | 2 | সম্পাদকীয়: | স্বাগত ২০১৯। বিদায় ২০১৮। বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও এই খ্রিষ্টীয় বছরকে বরণ করবে নতুন আশা. স্বপ্ন ও উদ্দীপনা নিয়ে। মহাকালের পরিক্রমায় একটি বছর হয়তো খুব বেশি সময় নয়। তারপরও স্বীকার করতে হবে যে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতা পরিমাপ করার ক্ষেত্রে বছরের হিসাব-নিকাশটি গুরুত্বপূর্ণ। নদীর স্রোত ও সময় কখনো স্থির থাকে না। বিগত বছরে আমরা কী করতে পেরেছি. কী করতে পারিনি. তার নির্মোহ বিচার-বিশ্লেষণ জরুরি সামনের পথ সুগম করার জন্যই। বিগত বছরটিতে আর্থসামাজিক. রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার অঙ্গীকার করেও মিয়ানমার ফেরত নেয়নি। ফলে আগের ৩ লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর ভার বহন করতে হচ্ছে সমস্যাসংকুল এই বাংলাদেশকে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে. চীন ও রাশিয়ার ভূমিকা মিয়ানমারের চণ্ডনীতিকেই উৎসাহিত করেছে। আমরা আশা করব. নতুন বছরে এ বিষয়ে বিশ্বসম্প্রদায় এগিয়ে আসবে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করাবে। গত বছর আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন. যা আমাদের সবার জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারত। কিন্তু তরুণদের এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে সরকারের যেভাবে সাড়া দেওয়ার কথা. সেভাবে তারা দেয়নি বা দিতে পারেনি। সরকার সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার ঘোষণা দিলেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি অমীমাংসিতই থেকে গেছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুললেও যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তায় কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। আন্দোলনের মুখে তারা সড়ক নিরাপত্তা আইন পাস করলেও সেই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা। এটি দুঃখজনক। সড়ক নিরাপদ হলে যাত্রীসাধারণের সঙ্গে পরিবহনশ্রমিকেরাও নিরাপদ থাকবেন। তবে ২০১৮ সালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রথম প্রশ্ন ছিল নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হবে কি না? বিরোধী দল শুরু থেকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে এসেছে এবং এই দাবিতে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল বলে আসছে. সংবিধানের বাইরে তারা যাবে না। এই বাদানুবাদ সত্ত্বেও বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বহুল আলোচিত সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ ডিসেম্বর সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়নি। সরকারি দল বলেছে. নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দল ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। বছর শেষের এই রাজনৈতিক বিরোধ নতুন বছরে যাতে বড় ধরনের বিপত্তি তৈরি না করে. সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন. নতুন বছরে বাংলাদেশ নতুন একটি সরকার পেতে যাচ্ছে। এই সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে পদ্মা সেতুসহ চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা। অর্থনৈতিক ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্য থাকলেও দুটি ক্ষেত্রে দেশ এখন নাজুক অবস্থায় আছে। ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি-অনিয়ম এবং কর্মসংস্থানের অভাব। নতুন বছরে সমস্যা দুটি সমাধানে সরকার দৃঢ় ও টেকসই ব্যবস্থা নেবে. এই প্রত্যাশা করা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক হবে না। নতুন বছরে বাংলাদেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসুক। সরকারের যেকোনো কর্মপরিকল্পনায় নাগরিক নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাক. এটাই প্রত্যাশা। আমাদের সব পাঠক. লেখক ও শুভানুধ্যায়ীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। শুভ নববর্ষ! | 1,572,717 |
2019-01-01 | সুনসান বিএনপির কার্যালয় | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572713/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|রাজনীতি|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন গতকাল সোমবার দিনভর নিরুত্তাপ ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। নয়াপল্টনের এই কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের আনাগোনা ছিল না। সংবাদ সম্মেলনও করেননি নিয়মিত গণমাধ্যমের সামনে আসা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নির্বাচনের ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়মুখী হননি। বেসরকারি ফলাফলে ক্ষমতাসীন দল বড় জয় পেয়েছে। মাত্র পাঁচটি আসনে জয়ী হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বিএনপি। ঢাকায় কোনো আসন পায়নি দলটি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর রোববার রাতেই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয়. নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। সাধারণত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আসা–যাওয়া থাকে। তফসিল ঘোষণার পর প্রায় প্রতিদিনই নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে নেতাদের গাড়ির জটলা লেগেই থাকত। গত এক মাসে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করেছেন রুহুল কবির রিজভী। এই সংবাদ সম্মেলন ঘিরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি থাকত সব সময়। কিন্তু নির্বাচনের পর এই চিত্র বদলে গেছে। গতকাল অনেকটাই সুনসান ছিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। গতকাল সকাল ১০টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে. কেবল রুহুল কবির রিজভী ও কার্যালয়ের কয়েকজন স্টাফ অবস্থান করছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ছাড়া কোনো নেতা-কর্মী কার্যালয়ে আসেননি। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টানা অবস্থান থাকলেও গতকাল কাউকে দেখা যায়নি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ে আসেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তার সঙ্গে বিএনপির এই দুই নেতা ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিএনপি নেতারা কোনো কথা বলেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা বলেন. নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির পর্যবেক্ষণ জানতে চেয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের ওই কর্মকর্তা। এরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী. রমেশ দত্তসহ আরও কয়েকজন কার্যালয়ে আসেন। তাঁরা কার্যালয়ে অবস্থানরত রিজভীর সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে আলাপ–আলোচনা করেন। তাঁরাও দুপুরের পর কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বিকেল পর্যন্ত আর কোনো নেতাকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রিজভী বলেন. ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আজই (গতকাল বিকেলে) এ ব্যাপারে কথা বলবেন। এ ব্যাপারে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলব না।’ তবে নির্বাচন নিয়ে তাঁর পাশে বসা নেতাদের ভাষ্য. ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতারা মোটেও হতাশ নন। ৯০–এর দশকে এর চেয়ে কঠিন সময় তাঁরা দেখেছেন। এ সময় রিজভীকে দল গোছাতে মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন এক নেতা। | 1,572,713 |
2019-01-01 | বিপিএল খেলতে মাশরাফি ঢাকায় আসছেন | null | প্রতিনিধি. নড়াইল ও লোহাগড়া | ৭ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572707/%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87 | bangladesh | print | 2 | নড়াইল|নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|মাশরাফি বিন মুর্তজা|আওয়ামী লীগ | সকাল থেকেই বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ভক্ত. শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ছাপিয়ে জনসমুদ্রে পরিণত। লক্ষ্য একটাই. নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফিকে একনজর দেখা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি যখন বাসা থেকে বের হয়ে পাশের নির্বাচনী অফিস তাহেরা কনভেনশনে যান. তখন সেখানে সাধারণ মানুষের ঢল। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ীর পর গতকাল সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় করেন। নির্বাচনের আগে তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে নড়াইলবাসীকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন. তা বাস্তবায়নে মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সেই সঙ্গে কৃষি. স্বাস্থ্য. শিক্ষা. যোগাযোগব্যবস্থা. খেলাধুলার উন্নয়নসহ মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে চান। এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন. নির্বাচনী গণসংযোগের সময় জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটের দুরবস্থা দেখেছেন তিনি। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হলে এলাকার উন্নয়ন দ্রুত সম্ভব। তাই যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নে কাজ করতে চান। নড়াইলকে একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে যা কিছু করণীয়. মাশরাফি তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে করার প্রতিশ্রুতি দেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি বলেন. বেসরকারিভাবে ইতিমধ্যে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন থেকে ক্রিকেট. ফুটবল ও ভলিবল খেলার উন্নয়নে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের কাজ চলছে। তিনি মনে করেন. এতে তরুণ সমাজ চাকরি. কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে এবং তারা মাদক থেকে দূরে থাকবে। খেলার মাঠ আর রাজনীতির মাঠের মাশরাফির মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে কি না. এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন. দেশের জন্য যেমন খেলেছেন. তেমনি রাজনীতিক হিসেবে দেশের সেবা করতে চান। নির্বাচনে তাঁকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য নড়াইলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মাশরাফি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস বোস. জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস. সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিপিএল খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য মাশরাফি সপরিবারে আজ মঙ্গলবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। নির্বাচনে মাশরাফি ২ লাখ ৭১ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের ফরিদুজ্জামান পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮৩ ভোট। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৪। | 1,572,707 |
2019-01-01 | আবার ধরাশায়ী জাফর উল্যাহ | null | প্রবীর কান্তি বালা. ফরিদপুর | ২২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572706/%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B9 | bangladesh | print | 2 | নির্বাচন|ফরিদপুর|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি | ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর কাছে আবার ধরাশায়ী হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। নির্বাচনে কাজী জাফর উল্যাহ ৪৯ হাজার ৯৪৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০১৪ সালে কাজী জাফর উল্যাহ ২৬ হাজার ৫২ ভোটের ব্যাবধানে মজিবুর রহমানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এ বছর সে ব্যবধান আরও বেড়েছে। ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনটি ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলা এবং কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ব্যতীত সদরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কাজী জাফর উল্যাহকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলেন ‘বহিরাগত’ মজিবুর রহমান। সে সময় মজিবুর রহমান পাশের মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। অবশ্য ওই নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি ভাঙ্গার আজিমপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি বানান। ওই নির্বাচনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মজিবুরকে ভোট দিয়েছিলেন নৌকার মাঝি পরিবর্তনের জন্য। মজিবুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকটাত্মীয় (বঙ্গবন্ধুর ভাগনে ইলিয়াস চৌধুরীর ছেলে)। তিনি বিজয়ী হলে এ আসনটি আওয়ামী লীগের কবজায় থাকবে বলে আশা করেছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগে যোগ দেননি মজিবুর রহমান। তিনি তাঁর নিজস্ব স্বতন্ত্র সত্তা অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন। ওই সংসদীয় আসনের অন্তত ১৪ জন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে. এ বিষয়টি এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় পুঁজি করেছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি ছিল. স্বতন্ত্র সাংসদ গত পাঁচ বছরেও নৌকার মাঝি হতে পারেননি। তিনি নৌকার মাঝি হবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন। এবার নির্বাচনে তাঁকে (মজিবুর) প্রত্যাখ্যান করবে এলাকার জনগণ। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের আশা ছিল. ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ওই নির্বাচনে বিএনপির ভোট পেয়েছিলেন মজিবুর। এবার বিএনপি প্রার্থী দিয়েছে এবং তারা যে ভোট পাবে. তা মজিবুরের ভোট থেকে বিয়োগ হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো. এবারের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার ইকবাল হোসেন ১২ হাজার ৩৮০ ভোট পেলেও কাজী জাফর উল্যাহর পরাজয়ের ব্যবধান না কমে বরং বেড়ে গেছে। জানতে চাইলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার বালিয়াডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সবুর কাজল বলেন. মজিবুরের আবার জিতে আসার কারণ হলো. তিনি তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় যেতে পেরেছিলেন। তৃণমূলের লোকজন দল দেখেনি. দেখেছে ব্যক্তি মজিবুরকে। পক্ষান্তরে কাজী জাফর উল্যাহ তৃণমূলের সঙ্গে মিশতে পারেন না বলে এলাকায় বদনাম রযেছে। সদরপুর উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির হাসান বলেন. এ এলাকার সাধারণ মানুষ সাংসদ কী জিনিস. তা বুঝত না। মজিবুর রহমান আসার পর সাংসদের কাছ থেকে মূল্যায়ন ও এলাকার উন্নয়ন পেয়েছে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে কাজী জাফর উল্যাহ বা মজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কাজী জাফর উল্যাহর সমর্থক ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান মুন্সী বলেন. ‘নির্বাচনী কৌশলের কাছে আমরা হেরে গেছি। সারা দেশে ভোট হয়েছে যে ফর্মুলায় ফরিদপুর-৪ আসনে ভোট হয়েছে ভিন্ন ফর্মুলায়।’ তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন. ‘এত ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় মেনে নেওয়া যায় না। এ ফলাফল বলে দেয় নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।’ মজিবুর রহমানের সমর্থক ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন বলেন. গত পাঁচ বছরে স্বতন্ত্র সাংসদ এ এলাকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পেরেছেন। তারপরও তিনি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। জনগণ এ বিষয়গুলোই মূল্যায়ন করেছে মাত্র। | 1,572,706 |
2019-01-01 | জামানত হারাবেন মওদুদসহ বিএনপির ছয় প্রার্থীই | নোয়াখালীর ছয় আসন | নিজস্ব প্রতিবেদক. নোয়াখালী | ৭ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572705/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%93%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%87 | bangladesh | print | 3 | নোয়াখালী|নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ছয়টি আসনেই জামানত হারাচ্ছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁরা কেউই মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পাননি। তাই তাঁরা জামানত হারাবেন। জামানত হারানো বিএনপির নেতারা হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ. দুই ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও বরকত উল্যাহ বুলু. যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। এ ছাড়া দলের অপর প্রার্থী ফজলুল আজিমও জামানত হারাবেন। নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়. বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের ছয় প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের প্রার্থী মো. শাহজাহান. আর সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন নোয়াখালী-২ আসনের প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক। শাহজাহানের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ভোটের ব্যবধান ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৫। অন্যদিকে জয়নুল আবদিন ফারুকের সঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী মোরশেদ আলমের ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৫১ হাজার ২২২ ভোট। আবার পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন নোয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী বরকত উল্যাহ বুলু। তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৯০ ভোট। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়. নোয়াখালী-১ আসনে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩। এখানে আওয়ামী লীগের এইচ এম ইব্রাহিম নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এ এম মাহবুব উদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৬২ ভোট। নোয়াখালী-২ আসনে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৪৭। এখানে আওয়ামী লীগের মোরশেদ আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নুল আবদিন ফারুক পেয়েছেন ২৬ হাজার ১৬৯ ভোট। নোয়াখালী-৩ আসনে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ২৪৮টি। এখানে আওয়ামী লীগের মামুনুর রশিদ কিরণ ২ লাখ ১৭ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বরকত উল্যাহ বুলু পেয়েছেন ৫৩ হাজার ভোট। নোয়াখালী-৪ আসনে মোট প্রদত্ত ভোট ৪ লাখ ৩২ হাজার ৫২৪। এখানে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৫৭ ভোট। নোয়াখালী-৫ আসনে মোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ৭২ হাজার ৬২৩। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদের ২ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মওদুদ আহমদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৭০ ভোট। নোয়াখালী-৬ আসনে মোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ২০ হাজার ১৮৭। এখানে আওয়ামী লীগের আয়েশা ফেরদাউস ২ লাখ ১০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফজলুল আজিম পেয়েছেন ৪ হাজার ৭১৫ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস প্রথম আলোকে বলেন. নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রতিটি আসনে যেসব প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাবেন তাঁরা জামানত ফেরত পাবেন। যাঁরা তার চেয়ে কম ভোট পাবেন তাঁদের জামানত ফেরত দেওয়া হবে না। তবে তাঁরা এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত করেননি. কারা কারা জামানত হারাবেন। | 1,572,705 |
2019-01-01 | গণতন্ত্রই নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ | বিশেষ সাক্ষাৎকার | মশিউল আলম | ৬৬ | https://www.prothomalo.com/opinion/article/1572701/%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C | opinion | print | 3 | সাক্ষাৎকার | আমরা আরও একটি বছর পেছনে ফেলে এলাম। স্বাগত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ। বর্ষশুরুর এই বিশেষ আয়োজনে পেছন ফিরে ও সামনের দিকে দৃষ্টি ফেলেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুলেখক আকবর আলি খান। ইতিমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; এ মাসেই একটি নবনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে; সামনের দিনগুলোতে সরকার ও জনগণের জন্য কী অপেক্ষা করছে. আমাদের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক মশিউল আলম আমরা আরও একটি বছর পেছনে ফেলে এলাম। স্বাগত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ। বর্ষশুরুর এই বিশেষ আয়োজনে পেছন ফিরে ও সামনের দিকে দৃষ্টি ফেলেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুলেখক আকবর আলি খান। ইতিমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; এ মাসেই একটি নবনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে; সামনের দিনগুলোতে সরকার ও জনগণের জন্য কী অপেক্ষা করছে. আমাদের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক মশিউল আলম মশিউল আলম: আমাদের এই কথোপকথন যখন ছাপার অক্ষরে ও ভিডিও মাধ্যমে প্রথম আলোর পাঠক–দর্শকদের কাছে পৌঁছাবে. তখন নতুন বছর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিন শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যাঁরা নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন. তাঁদের উদ্দেশে আপনার কী বলার থাকবে? আকবর আলি খান: শুভ নববর্ষ! আমি আশা করি যে ২০১৯ সালে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাব। নতুন সরকার অবশ্যই এ বছরের প্রথম দিকে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। কিন্তু নতুন সরকার দায়িত্ব নিলেও সে কিন্তু পুরোনো সরকারের ধারাবাহিকতায়ই ক্ষমতায় আসবে। কারণ. এ নির্বাচনে দুটি জোট অংশগ্রহণ করেছে. এ দুটি জোটই দীর্ঘদিন ধরে সংঘাতের রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে। যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে. সেখানেও এর পরিসমাপ্তি ঘটেনি; সেই সংঘাতের রাজনীতিই চালু ছিল। সুতরাং আমরা ২০১৯ সালেও সংঘাতের রাজনীতির পথেই পা বাড়াচ্ছি। এই সংঘাত কমানোর কোনো উদ্যোগ কোনো রাজনৈতিক দল নিতে পারেনি. এটা আমাদের জন্য একটা বড় দুর্ভাগ্য। সংঘাতের রাজনীতির ফলাফল মোটেও ভালো হয় না. সুতরাং আমরা ২০১৯ সালেও শঙ্কার মধ্যেই থাকব।মশিউল আলম: আমাদের মনে হয়. এই সংঘাতের রাজনীতিতে লিপ্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া এবং একবার ক্ষমতায় যেতে পারলে যেকোনো উপায়েই তা রক্ষা করা। সে কারণে একটি সরকারের মেয়াদ শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশতকের ইতিহাসেও গড়ে উঠল না। আমাদের রাজনীতির এই পরিণতি কেন ও কীভাবে হলো?আকবর আলি খান: বাংলাদেশের রাজনীতির একটা বৈশিষ্ট্য হলো বংশগত রাজনীতি। এ ধরনের রাজনীতি অতীতমুখী হয়. ভবিষ্যতের দিকে তাকায় না। অর্থাৎ যে বংশ যখন রাজত্ব করেছে. তার গরিমাকে পুঁজি করেই তারা চলতে চায়। ভবিষ্যতের দিকে তাদের দৃষ্টি থাকে না। বড় দুই রাজনৈতিক জোটের বাইরেও বংশগত রাজনীতি প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এটা একটা বড় কারণ. এ ছাড়া আরও অনেক কারণ আছে। বাংলাদেশে যে দলাদলির রাজনীতি আমরা দেখে আসছি. তা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের ইতিহাসে আছে। শুধু ব্রিটিশ আমলে নয়. তার আগেও দলাদলির রাজনীতি ছিল। আমাদের এখানে গ্রামের যে কাঠামো. সেখানে সামাজিক পুঁজি গড়ে ওঠেনি এবং আমাদের গ্রামগুলো উত্তর ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের গ্রামের তুলনায় অনেক বেশি দুর্বল। সুতরাং আমাদের ইতিহাসের মধ্যেও এর উপাদান রয়েছে এবং এর সঙ্গে বর্তমানকালের বংশগত রাজনীতি এই প্রক্রিয়াকে আরও অনেক জটিল করে তুলেছে।মশিউল আলম: এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী?আকবর আলি খান: এই পরিস্থিতি বর্ণনা করা যায় একটা ছড়ার সাহায্যে: দেয়ার ওয়াজ আ ইয়াং লেডি অব রাইগা. হু স্মাইলড অ্যাজ শি রোড অন আ টাইগার. দে রিটার্নড ফ্রম দ্য রাইড. উইথ দ্য লেডি ইনসাইড. অ্যান্ড দ্য স্মাইল অন দ্য ফেস অব দ্য টাইগার। এ ছড়ায় বলা হয়েছে. রাইগার এক কুমারী মেয়ে হাসিমুখে বাঘের পিঠে চড়েছিল। কিন্তু বাঘের পিঠে চড়া যত সোজা. নামা তত সোজা নয়। সুতরাং সে আর নামতে পারেনি. বাঘের পিঠেই তার সমাপ্তি ঘটেছে। সুতরাং বংশগত রাজনীতির যে বংশ একবার ক্ষমতায় আসে. তারা কোনোমতেই আর ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয় না। এর ফলেই আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বার বার সংকট দেখা দেয়।মশিউল আলম: এটা রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর দিক। কিন্তু একটা সমাজে রাজনীতিকদের বাইরেও নানান শক্তি থাকে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি. সিভিল সমাজ. বুদ্ধিজীবী মহলসহ নানা সামাজিক শক্তি জনগণের তরফ থেকে গণতান্ত্রিক অধিকারসহ নানা ধরনের দাবি–দাওয়া তোলে. যা রাজনীতিকদের ওপর কোনো না কোনো মাত্রায় চাপ সৃষ্টি করে। সেই চাপের মুখে রাজনৈতিক শক্তিগুলো নিজেদের বদলানোর মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বা সিভিল সমাজ রাজনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না. তাদের কোনো প্রভাব অনুভূত হয় না। এটা কেন হলো?আকবর আলি খান: প্রথমে সিভিল সোসাইটি নিয়ে বলি। বাংলাদেশে পাকিস্তান আমলে সিভিল সোসাইটি অনেকটা শক্তিশালী ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ হওয়ার পরে সংঘাতমূলক রাজনীতিতে সিভিল সোসাইটি প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। সিভিল সোসাইটিতে কারা আছেন? আইনজীবীরা আছেন. শিক্ষকেরা আছেন. সাংবাদিকেরা. পেশাজীবীরা আছেন। প্রতিটা গোষ্ঠীই দলীয় ভিত্তিতে বিভক্ত হয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন দলকে সমর্থন করতে পারি. কিন্তু কতগুলো বিষয়ে আমরা একমত থাকব—এ রকম দেখা যাচ্ছে না। আইনজীবীদের মধ্যে নয়. সাংবাদিকদের মধ্যে নয়. কোনো পেশাজীবী গোষ্ঠীর মধ্যে নয়. কোথাও এ ধরনের ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি খুবই দুর্বল। এখন যাঁরা নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা বলেন. তাঁদেরই সিভিল সোসাইটি বলে গালি দেওয়া হয়। আসলে বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি খুব দুর্বল।মশিউল আলম: গণতন্ত্রায়ণে মধ্যবিত্ত শ্রেণিরও কিন্তু ভূমিকা থাকে।আকবর আলি খান: বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে. তারা দীর্ঘদিনের ত্যাগ–তিতিক্ষার মাধ্যমে মধ্যবিত্ত হয়নি। হঠাৎ করে অনেকেই মধ্যবিত্ত হয়ে গেছেন। এই মধ্যবিত্তদের অনেকেই রাজনীতিকে ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিরাট অংকের টাকার মালিক হয়ে গেছেন। এ রকম হঠাৎ উঠে আসা মধ্যবিত্ত রাজনীতির ওপরে কোনো গঠনমূলক প্রভাব ফেলে না। এরা ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে। আমি বলব না যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো মধ্যবিত্ত বাংলাদেশে একেবারেই নেই; আছে. কিন্তু এ দেশে আরেকটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে উঠেছে. যে গড়ে উঠেছে কালো টাকার ওপর। যারা কালো টাকার কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে প্রবেশ করেছে. তারা কিন্তু কোনো ভালো প্রভাব রাখতে পারে না। সুতরাং না মধ্যবিত্ত. না সিভিল সমাজ—কেউই এখন বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তনে প্রভাব রাখার অবস্থায় নেই।মশিউল আলম: এ রকম দুর্বল গণতান্ত্রিক পরিবেশে একদিকে ভিন্নমত. বিরুদ্ধমত ইত্যাদির জায়গা সংকুচিত হচ্ছে. কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন অবনতি অন্তত গত দুই মেয়াদে ঘটেনি; প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। কিন্তু গণতন্ত্রহীন বা দুর্বল গণতান্ত্রিক পরিবেশ অব্যাহত থাকলে অর্থনীতির ওপরেও ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কি না?আকবর আলি খান: কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরে এক সেমিনারে গিয়েছিলাম. সেখানে বাংলাদেশের দুর্নীতি সম্পর্কে কথা হচ্ছিল। সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা আমাকে বলেন. তোমরা দুর্নীতি নিয়ে চিন্তিত কেন? দুর্নীতি হলে তো অর্থনীতির উন্নতি ত্বরান্বিত হতে পারে। আমি তাঁদের বলেছিলাম. বড় কথা হচ্ছে. অর্থনৈতিক উন্নয়ন উন্নয়নই বড় কথা নয়. বড় কথা হচ্ছে. কিন্তু সেই উন্নয়নের সুফল কাদের হাতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে উন্নয়ন হচ্ছে. এর সুফল মুষ্টিমেয় লোকের হাতে যাচ্ছে. বেশির ভাগ লোক এই উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে. যারা অর্থ উপার্জন করে. সমাজে তাদের বিশ্বাসযোগ্য পন্থায় অর্থ উপার্জন করার প্রয়োজন রয়েছে। যদি দেখা যায়. বেশির ভাগ লোকের উন্নতি হচ্ছে না. কিছু লোক লুটপাট করে ধনী হয়ে যাচ্ছে. তাহলে কিন্তু সেই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সমাজের অনুমোদন লাভ করে না এবং সমাজে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে কিছু লোক লুটপাট করে ধনী হয়ে যাচ্ছে. এতে বেশির ভাগ লোক ঈর্ষান্বিত। তারা মনে করে যে অত্যন্ত অবৈধভাবে কাজ চলছে। এর ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে. সেগুলোর ওপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। যদি প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষের আস্থা না থাকে এবং যদি তাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ থাকে. তাহলে সে সমাজে যেকোনো ধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে। সে জন্য বাংলাদেশে শুধু অর্থনৈতিক উন্নতি করলেই হবে না. আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে. যেখানে ধনবৈষম্য লোকজনের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে: যারা ধনী হয়েছে. তারা সঠিকভাবে. সরকারকে কর দিয়ে. সমস্ত আইন–কানুন মেনে ধনী হয়েছে। কিন্তু সেটা না করে যদি একজন রাস্তার হকার ঝট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়. তাহলে এটাতে সমাজে অসন্তোষ দেখা দেবে। আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা বললে বলতে হয়. এটা একক কোনো সরকারের আমলে নয়. ৯০ দশক থেকে প্রবৃদ্ধি ক্রমশ বেড়েছে। সব দলেরই ভূমিকা আছে. কোনো দল বলতে পারবে না যে শুধু আমাদের জন্যই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।মশিউল আলম: এই ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণ কী? অনেকে বলেন. এটা মিরাকল।আকবর আলি খান: একটা কারণ হলো. আমাদের দেশের প্রায় কোটিখানেক মানুষ বিদেশে কাজ করছেন। ফলে প্রচুর পরিমাণ অর্থ দেশে প্রবেশ করছে. এটা আমাদের অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার করেছে। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ কৃষি খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। ১৯৭১ সালে যেখানে ১ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হতো. সেখানে এখন প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৪ গুণ উৎপাদন বেড়েছে। আর পোশাকশিল্প খাতে প্রায় ৫০ লাখ নারী নিয়োজিত হয়েছেন. তাঁরা যে কাজ করছেন. তার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনেক বেড়ে গেছে। এভাবে আমরা আমাদের অদক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমশক্তি থেকে সুফল পেয়েছি। এই সুফলের ফলেই আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চলছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যদি হঠাৎ কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন হয় এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক দেশে আসে. তাহলে কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি আর থাকবে না। অথবা আমরা যদি কোনো কারণে পোশাকশিল্পের বাজার হারাই. তাহলেও আমাদের অর্থনীতির ওপর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কৃষি খাতে অগ্রগতির একটা সীমা আছে. সেটাও আস্তে আস্তে কমে আসার সম্ভাবনা আছে। সুতরাং আমাদের নতুন নতুন রপ্তানি খাত চিহ্নিত করতে হবে. উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজ ভালোভাবে পরিচালনা করতে হবে। এখন আমরা বলি যে আমাদের দেশের শিক্ষার হার অনেক বেশি. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ছেলে পড়ছে. অন্যান্য দেশে এই হার অনেক কম। কিন্তু আসলে এগুলো শুধু সংখ্যার মারপ্যাঁচ. গুণগত মানের দিক থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমশ নিচের দিকে নেমে আসছে। এটা যদি রোধ করা না যায়. তাহলে আমাদের এসব অর্থহীন হয়ে যাবে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতেও বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা যেভাবে এগোচ্ছি. সেভাবে এগোতে চাইলে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। বাংলাদেশে এখন যে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে. তা পুঁজিনির্ভর নয়. মানবসম্পদ–নির্ভর। মানবসম্পদ–নির্ভর উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে মানবসম্পদকে সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার জন্য আরও উদ্যোগ নিতে হবে।মশিউল আলম: সারা পৃথিবীতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে উৎপাদনক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে. লোকবলের প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে। এটা বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ অত্যন্ত জনবহুল দেশ. এখানে কর্মসংস্থানের বিরাট সংকট আছে। উৎপাদনক্ষেত্রে অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির প্রসারের ফলে বেকারত্ব বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব?আকবর আলি খান: এটা বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক সমস্যা হবে। যেমন আমাদের পোশাকশিল্প চলে অদক্ষ ও আধা–দক্ষ শ্রমিক দিয়ে। পোশাক খাতে এই শ্রমশক্তির ব্যাপক চাহিদা এতকাল ছিল. তাই এত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখন যদি কম্পিউটারের মাধ্যমে পোশাকশিল্প নিয়ন্ত্রণ করা যায়. তাহলে ব্যয় অনেক কমে যাবে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার অনেক কম. অতি সহজে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে যদি আমেরিকানরা নিজেরাই পোশাকশিল্পে বিনিয়োগ করে. তাহলে তারা সস্তায় বাংলাদেশের চেয়ে ভালো পোশাক তৈরি করতে পারবে। ফলে আমরা তৈরি পোশাকের বাজার হারাব। সুতরাং এই মুহূর্তে আমরা যেভাবে চালাচ্ছি. আগামী দশ বছর পরে আর এভাবে চালাতে পারব না। সে জন্যই আমি বলছিলাম যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন করতে হবে। শুধু অদক্ষ ও আধা–দক্ষ শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করে আমরা আর বেশিদূর এগোতে পারব না। দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হবে. সে জন্য উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। এখন বাংলাদেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু সনদ দেওয়া হয়. শিক্ষা দেওয়া হয় না। আমাদেরকে সনদের বদলে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।মশিউল আলম: এ মাসেই নতুনভাবে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সামনের দিনগুলোতে নতুন সরকারের জন্য এবং দেশের জনগণের জন্য আপনি কী ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখেন?আকবর আলি খান: পঞ্চদশ শতকের কবি চণ্ডীদাস লিখে গেছেন. ‘গড়ন ভাঙিতে. সখি. আছে কত খল. গড়িয়া ভাঙিতে পারে সে বড় বিরল।’ অর্থাৎ গড়ে তোলা একটা কাঠামোকে ভাঙা খুব সোজা. কিন্তু সেটা নতুন করে গড়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা একটা বিরাট বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। গণতন্ত্রের গড়ন বা কাঠামো প্রায় ভেঙে গেছে। কাঠামো নতুন করে গড়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। এই কাজ যদি সঠিকভাবে করা না হয়. তাহলে আগামী দশকগুলোতে আমাদেরকে এর দায় বহন করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো নতুন করে গড়ার জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে. যেমন আইনের শাসন—এটা প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক বড় বড় সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যা বলে গেছেন. আজও তা সমভাবে প্রযোজ্য। বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখেছেন. ‘আমাদের দেশে যে আইন. সেখানে সত্য মামলায়ও মিথ্যা সাক্ষ্য না দিলে শাস্তি দেওয়া যায় না। মিথ্যা দিয়ে শুরু হয় আর মিথ্যা দিয়ে শেষ করতে হয়। যে দেশে বিচার ও ইনসাফ মিথ্যার ওপর নির্ভরশীল. সে দেশের মানুষ সত্যিকারের ইনসাফ পেতে পারে কি না. সন্দেহ।’ এই হলো বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন। তিনি প্রায় ৫০ বছর আগে এই কথাগুলো লিখেছিলেন. তারপর থেকে বিচারব্যবস্থার কোনো উল্লেখযোগ্য সংস্কারও হয়নি. কোনো উন্নতিও হয়নি। আমাদের বিচারব্যবস্থায় নতুন করে আইন–কানুন করতে হবে. নতুন করে কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে। সেগুলো করা জন্য বিরাট পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।মশিউল আলম: আর প্রশাসনিক ব্যবস্থা?আকবর আলি খান: বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গেছে। আমি বলি. এই ব্যবস্থা গ্রেশাম বিধির ব্যামোতে আক্রান্ত। অর্থাৎ এখানে ভালো লোকদের দুষ্ট লোকেরা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হলে আমলাতন্ত্রের সামগ্রিক পুনর্গঠনের প্রয়োজন হবে। তেমনই পুলিশ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। এই ধরনের বড় বড় সংস্কার খুব অল্প সময়ে করা যায় না। সংস্কার করার জন্য অত্যন্ত দৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। আগামী দিনের সরকার যদি আমলাতন্ত্র. বিচারব্যবস্থা. পুলিশ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংস্কার করতে না পারে. তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ বুনিয়াদ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। এর সঙ্গে সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সুদৃঢ় নীতির ওপর ভিত্তি করে সরকারকে এগিয়ে যেতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা না হলে আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি ধরে রাখতে পারব না। আমাদের মনে রাখতে হবে. শুধু অর্থনৈতিক উন্নতির জন্যই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়নি; বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ভিত্তি ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না পায়. তাহলে শুধু অর্থনৈতিক উন্নতিতে জনগণের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মেটানো সম্ভব হবে না। সুতরাং বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অবশ্যই সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। এটাও হবে আগামী সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।মশিউল আলম: আপনি যে বড় বড় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন. সেগুলো করার দায়িত্ব রাজনীতিকদের। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি জনমুখিতা হারাতে হারাতে একটা হতাশাব্যঞ্জক অবস্থায় পৌঁছেছে। রাজনীতি ঠিক না হলে তো কোনো সংস্কারই হবে না। রাজনীতির এই দুর্দশা কাটানোর উপায় কী?আকবর আলি খান: সমস্যাগুলো দুইভাবে দেখা যেতে পারে: একটা স্বল্পকালীন দৃষ্টিকোণ থেকে. আরেকটা দীর্ঘকালীন দৃষ্টিকোণ থেকে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্থা. তাতে স্বল্পকালীন দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সমাধান দেখা যায় না। তবে দীর্ঘ মেয়াদে এগুলোর সমাধান সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস। সুতরাং আমরা যদি বলতে চাই. আগামী দুই বা পাঁচ বছরের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন হবে. তাহলে সেটা আশা করাটা ঠিক হবে না। কিন্তু আমরা যদি ১৫–২০ বছরের কথা ভাবি. তাহলে পরিবর্তন আসবে. কারণ পরিবর্তন–বিরোধীরা যতই শক্তিশালী হোক. দেশের মানুষ বুঝতে পারবে. কী করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আস্তে আস্তে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও পরিবর্তন আসবে বলে আমার বিশ্বাস। রাজনৈতিক দল. জনসাধারণ. সিভিল সমাজ—সবাই মিলে আমরা হয়তো সামনের দিকে এগিয়ে যাব. এটাই আমার বিশ্বাস।মশিউল আলম: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।আকবর আলি খান: আপনাকেও ধন্যবাদ। | 1,572,701 |
2019-01-01 | যশোরে প্রকাশ্যে গলায় ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন | null | যশোর অফিস | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572853/%E0%A6%AF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8 | bangladesh | online | 1 | অপরাধ|যশোর|হত্যাকাণ্ড | যশোরে প্রকাশ্যে গলায় ছুরিকাঘাত করে মহিদুল ইসলাম সাফা (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মোড়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মহিদুল যশোর শহরের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (আরএন) সড়কে এইচএন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। তিনি মোটরগাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করতেন। যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের নবিস উদ্দিনের ছেলে তিনি। তিনি যশোর শহরের খালধার সড়কে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এইচএন এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মোতালেব হোসেন বলেন. সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মহিদুলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে তিনি ঈদগাহ মোড়ে গিয়েছিলেন কিছু তথ্য কম্পিউটার কম্পোজ করার জন্য। মহিদুল মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ছিলেন। মোটরসাইকেল মাসুদ কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড় করানোর সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলে দুজন দুর্বৃত্ত সেখানে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলায় আঘাত করে দ্রুত চলে যায়। এরপর তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক শ্যামাপদ জয় জানান. ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মহিদুলের শ্বাসনালী কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান বলেন. দুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় জখম করে পালিয়ে গেছে। এতে মারা যান মহিদুল। পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। | 1,572,853 |
2019-01-01 | তরুণী ধর্ষণ. দুই যুবক কারাগারে | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572852/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%80-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87 | bangladesh | online | 1 | অপরাধ|ধর্ষণ|রাজধানী|আইন ও বিচার | রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। কারাগারে পাঠানো ওই দুই যুবক হলেন জাহিদ হোসেন (২৮) ও জসীম (২৯)। মঙ্গলবার ওই তরুণী বাদী হয়ে দারুস সালাম থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়. গত ১০ ডিসেম্বর ভালোবেসে এক যুবককে বিয়ে করেন ওই তরুণী। বিয়ের পর জানতে পারেন ওই যুবক বিবাহিত। সেই ঘরে একটি সন্তানও আছে। এই কথা জানার পর তিনি ওই যুবককে তালাক দেন। গত রোববার রাত ১০টার দিকে দারুস সালাম থানা এলাকায় আসেন তরুণী। তখন হীরা নামের একজনের কাছে তাঁর এক আত্মীয়ের ঠিকানা জানতে চান তিনি। হীরা ওই তরুণীকে তাঁর আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় জাহিদ ও জসীম তাঁদের আটক করেন। এ সময় ওই আত্মীয়কে মোবাইল ফোনে ডেকে আনা হয়। পরে ওই তরুণীকে জাহিদ তাঁর বাসায় নিয়ে যান। রাতে ওই তরুণীকে জাহিদ ধর্ষণ করেন এবং জসীম দরজার সামনে পাহারা দেন। দারুস সালাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াছিন আলী দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে জামিন না দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। দারুস সালাম থানা-পুলিশ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে. ওই তরুণী ধর্ষণের সঙ্গে জাহিদ ও জসীম জড়িত আছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের জেলহাজতে আটকে রাখা দরকার। | 1,572,852 |
2019-01-01 | বিএনপিতেই মতপার্থক্য স্মারকলিপি দেওয়া নিয়ে | null | সুহাদা আফরিন. ঢাকা | ১১৮ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572849/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87 | bangladesh | online | 1 | নির্বাচন|বিএনপি|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|নির্বাচন কমিশন|একাদশ সংসদ নির্বাচন | অভিযোগ. দাবিদাওয়া নিয়ে একাধিকবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের জেরে বৈঠকের মাঝামাঝি বের হয়েও আসেন নেতারা। নির্বাচনের ফল বর্জন করে প্রার্থীসহ সেই ইসিতেই তাঁরা আবার যাচ্ছেন স্মারকলিপি দিতে। যেদিন তাঁরা যেতে চান. ওই দিনই আবার নবনির্বাচিতরা শপথ নেবেন। তবে জোটের বড় দল বিএনপিরই নেতারা মনে করছেন. এখন স্মারকলিপি দিয়ে কিছু হবে না. যা করার নির্বাচনের আগে করতে হতো। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চেয়েছিল ঐক্যফ্রন্ট। সেই নির্বাচন কমিশনেই তাঁরা আবার যাচ্ছেন নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দাবি নিয়ে। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন. এখন স্মারকলিপি দিয়ে কিছুই হবে না। যে নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষমতার পরিচয় দেয়নি. সেই নির্বাচন কমিশন এখন কী করবে। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে মওদুদ আহমদ ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর একটি ফোনালাপ ফাঁস ঘিরে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। সেখানে তাঁদের আলোচনায় ছিল সব প্রার্থীকে ঢাকায় ডেকে কোনো কর্মসূচি দেওয়া। এখন নির্বাচনের পর সবাইকে ঢাকায় ডেকে কমিশনে নেওয়া প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন. ‘এ ধরনের কর্মসূচি নির্বাচনের আগেই করতে হতো। এখন করলে ফলপ্রসূ কিছু হবে বলে মনে হয় না।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট ৭টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে এ নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। ৩ জানুয়ারি ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনে যাবে স্মারকলিপি দিতে। সেদিন তাদের সব প্রার্থীই সঙ্গে যাবে। জোটের কয়েকটি সূত্র জানায়. ইতিমধ্যে সবাইকে ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। তাঁদের অবস্থান. তাঁরা কে কোথায় কী করেছেন এসব নিয়ে আলোচনা করা হবে। ঐক্যফ্রন্ট ৩ জানুয়ারি ইসিতে যাবে। তবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আজ মঙ্গলবার জানান. ৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হবে। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন. স্মারকলিপির পাশাপাশি কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে। ঐক্যফ্রন্টের এক শীর্ষ নেতা জানান. বাম দলগুলোও নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কথা ভাবছে এই জোট। যদিও ঐক্যফ্রন্ট গঠনের আগে তাদের সঙ্গে জোটভুক্ত হওয়ার জন্য বলা হলেও বাম জোট সাড়া দেয়নি। আন্দোলনের ধরনের ব্যাপারে এই শীর্ষ নেতা বলেন. মিছিল বা অবস্থান কর্মসূচির মতো কিছু হতে পারে। এদিকে ঐক্যফ্রন্টের ৭টি আসনের প্রার্থীরা শপথ নেবেন কি না. সে ব্যাপারে জয়ী প্রার্থীরা এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানেন না। সিলেট-২ আসনে গণফোরাম থেকে জয়ী হওয়া দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান প্রথম আলোকে জানান. দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তিনি। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জয়ী প্রার্থীদের শপথের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন. সব ফলাফলই তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু কামাল হোসেন জানান. বিষয়টি বিবেচনাধীন। ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন. আইনজীবীসহ অনেকের পরামর্শই হচ্ছে এই ৭ জনের শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়া উচিত। পাশাপাশি বাইরের আন্দোলনও থাকবে। তবে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেন. ফল প্রত্যাখ্যান করে শপথ নিতে যাওয়াটা সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত হবে। | 1,572,849 |
2019-01-01 | ৫০০ বিয়েতে নববর্ষ উদ্যাপন | null | অনলাইন ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572850/%E0%A7%AB%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8 | international | online | 1 | আরব বিশ্ব|এশিয়া|ইংরেজি নববর্ষ | ইংরেজি নতুন বছরকে একেক দেশ একেক ভাবে স্বাগত জানায়। ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে স্বাগত ও উদযাপনের কারণে সেগুলো আলোচনায় থাকে। এবার ইংরেজি নতুন বছরকে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ একটু ভিন্নভাবে স্বাগত জানাল। রাজধানী জাকার্তায় গণবিয়ে আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়স্করাও। এএফপির খবরে বলা হয়েছে. নতুন বছরের প্রথম দিনের শুরুতে জাকার্তায় ছিল বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁবুর নিচে পাঁচ শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন হয়। বয়স্ক. তরুণ-তরুণীদের এ বিয়ের আয়োজক জাকার্তা সিটি কর্তৃপক্ষ। গণবিয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল গরিব পরিবারের সদস্যদের জন্য। জন্ম ও বিয়েসংক্রান্ত সরকারি কাগজপত্র যাঁদের নেই. তাঁরাই এ বিয়ের সুযোগ পেয়েছেন। জাকার্তা সরকার নতুন বছর আগমন উপলক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো গণবিয়ের আয়োজন করল। এই গণবিয়েতে তরুণ-তরুণীর পাশাপাশি ছিলেন বয়স্করাও। সবচেয়ে বয়স্ক বরের বয়স ৭৬ বছর আর কনের ৬৫ বছর। আর সবচেয়ে কম বয়সীর বয়স ১৯ বছর। জাকার্তার গভর্নর আনিছ বাশওয়েদান জানান. আইনগতভাবে বৈধ বিয়ে হয়েছে। এর ফলে দম্পতি ও তাঁদের সন্তানেরা চিকিৎসাসেবা পাবেন। শিক্ষার সুযোগ পেয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে অবারিত সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন. গণবিয়ের জন্য নতুন বছরের সূচনার সময় বেছে নেওয়ার কারণ হলো. নবদম্পতি বিবাহ উৎসব উদযাপন করলে অন্য সবাই এটি উদযাপন করবে। ৫০০ তরুণ-তরুণীর একজন রোহিহা। তিনি এএফপিকে বলেন. তিনি খুবই খুশি। কারণ বৈধভাবে দাহারুণ হাকিমকে বিয়ে করেছি। ইমাম বিয়ে পড়ানোর পরই দারুণ উচ্ছ্বসিত রোহিহা বলেন. ‘আমি খুবই খুশি. খুবই খুশি। এখন আমি আমার সন্তানের জন্মসনদ নিতে পারব। সন্তান এখন এ দেশের অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।’ | 1,572,850 |
2019-01-01 | অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন | null | কাউসার খান. সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) | ২ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572848/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8 | international | online | 1 | অস্ট্রেলিয়া|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বাংলাদেশ | বিশ্বের অন্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনসহ (এবিসি) দেশটির প্রায় সব সংবাদমাধ্যম ফলাও করে নির্বাচনের খবর প্রচার করেছে। ‘ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন’ শিরোনামে গতকাল সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। নির্বাচনের পুরো চিত্র তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। এ ছাড়া এসবিএস নিউজ. দ্য অস্ট্রেলিয়ান. নিউজ ডটকম ডট এইউ এবং নাইন নিউজ. স্কাই নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলসহ অন্য সব সংবাদমাধ্যমে নির্বাচনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদগুলোর শিরোনাম ও বিষয়ে নির্বাচনি সহিংসতার খবরও প্রাধান্য পেয়েছে। নির্বাচনে সরকারি দলের প্রভাব বিস্তারের কথাও বলা হয়েছে কয়েকটিতে। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের দিন প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘সহিংসতা অব্যাহত. বাংলাদেশিদের নির্বাচন চলছে’। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়. সহিংসতার পর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশিরা. যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় মেয়াদের জন্য লড়বেন আর সংসদের বাইরের বিরোধী দলের নেত্রী কারাগারে আছেন। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আর রাজধানী শহরের রাস্তা খালি হয়ে গেছে। কেননা শহরের বাসিন্দারা নিজ নিজ এলাকায় ভোট দিতে গেছেন। এবারের নির্বাচনে লাখো নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালে সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন হবে না দাবি করে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাহার করে। এবারের নির্বাচনে দলটির নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন। এবিসি নিউজ ‘মারাত্মক সংঘর্ষ. ভোট কারচুপি আর নানা অভিযোগে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবরের শুরুতেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৭ জনের প্রাণহানির কথা বলা হয়। তৃতীয় বারের মতো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হচ্ছেন। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় নির্বাচনে বিরোধী দলের নড়বড়ে অবস্থানের কথাও। এসবিএস নিউজ. দ্য অস্ট্রেলিয়ান. নিউজ ডটকম ডট এইউ পত্রিকা এবং নাইন নিউজ. স্কাই নিউজ টেলিভিশনসহ অন্য সব গণমাধ্যমের সংবাদে নির্বাচনি সহিংসতার কথা উল্লেখ ছিল। | 1,572,848 |
2019-01-01 | চার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের নির্বাচন | null | অনলাইন ডেস্ক | ১৪৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572847/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 1 | শেখ হাসিনা|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|নির্বাচন কমিশন | গত রোববার বাংলাদেশে হয়ে গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে. ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও এর ফলাফল নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিশ্লেষণ ও মতামতধর্মী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এই নিবন্ধগুলোর সারসংক্ষেপ এখানে তুলে ধরা হলো: ওয়াশিংটন পোস্ট মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে. বাংলাদেশে বিপুল ব্যবধানে একটি রাজনৈতিক দল জয়লাভ করেছে। বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পার্থক্যসূচক এমন চিত্র উত্তর কোরিয়ার মতো দেশে আশা করা যায়. বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশে নয়। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে. শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে আরও সংহত করছেন. কিন্তু সেটি হচ্ছে তাঁর নির্বাচনী বৈধতার বিনিময়ে। যদিও নির্বাচনের আগে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই ধারণা করেছিলেন. শেখ হাসিনাই নির্বাচনে জিতবেন। কিন্তু এত বিপুল ব্যবধানে তিনি জয়ী হবেন—সেই ধারণা ছিল খুবই কম। ভোট গ্রহণের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকেরা বলছেন. গত রোববারের অনেক আগেই মাঠ দখলে নিয়ে নেয় আওয়ামী লীগ। অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিষয়টিও বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে. একই সঙ্গে বাড়ছে বিরুদ্ধমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা। রোববারের নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ক্রমে ‘একদলীয় গণতন্ত্রের’ দেশে পরিণত হতে চলেছে। টাইম টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে গত রোববারের ভোট গ্রহণের বিভিন্ন ‘অনিয়মের’ খণ্ডচিত্র। বলা হচ্ছে. নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের ওপর দমনপীড়ন চলেছে। টাইম-এর মতে. বাংলাদেশের নির্বাচন পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ধারার নির্বাচনের মধ্যে অন্যতম। গত ২০ বছরে এখানে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেছে কখনো আওয়ামী লীগ. কখনো বিএনপি। শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে এসেছে এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাঁর সরকারকে ‘ধীরগতির নিপীড়ন’ চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করে আসছে। নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সমালোচনা করে এই বিশ্লেষণে বলা হয়েছে. এর ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সরকারের সমালোচনা করার বিষয়টি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। টাইম বলছে. গত রোববার ভোটারদের বাধা দেওয়ার প্রমাণাদি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা ক্রমে বিদ্রূপে পরিণত হয়। সিএনএন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক মতামতধর্মী নিবন্ধে রোববারের নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত’ অভিহিত করে বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে একটি ‘নতুন ও বিপজ্জনক’ যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। সিএনএন বলছে. বিরোধীদের ‘ক্রুদ্ধ’ হওয়ার সব কারণই রয়েছে। কয়েক বছর ধরে বিরোধীদের সরিয়ে দেওয়ার একটি ‘পদ্ধতিগত প্রচারের’ সঙ্গে যুক্ত আছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগকে একটি ‘জনপ্রিয় দল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের এই লেখায়। বলা হয়েছে. প্রত্যাশিতভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিরোধীদের নতুন নির্বাচনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাস্তবে. নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানানো ছাড়া ক্ষোভ প্রকাশের খুব কম বিকল্পই বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর হাতে রয়েছে। সিএনএনের এই মতামতধর্মী লেখায় আরও বলা হয়েছে. আওয়ামী লীগের ‘অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ উপায়ে’ ক্ষমতা লাভের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ‘প্রায় একদলীয় রাষ্ট্রে’ পরিণত হওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এখন অস্পষ্ট। দেশটির তরুণ ও যুবসমাজ গণতন্ত্রের ওপর বিশ্বাস হারাতে বসেছে। দ্য ইকোনমিস্ট ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে. গত রোববারের নির্বাচনে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর হাজার হাজার পোস্টারের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি বিএনপির প্রার্থীর কোনো পোস্টার। অন্যদিকে উঠেছে ভোট গ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগ। ইকোনমিস্ট বলছে. একটি অধিকতর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও সম্ভবত শেখ হাসিনাই জিততেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে এগিয়ে ছিল তাঁর দল আওয়ামী লীগ। কিন্তু গত রোববারের জাতীয় নির্বাচনের পর এখন প্রশ্ন উঠেছে—আওয়ামী লীগের এই বিশাল বিজয় কি স্বস্তি আনবে. নাকি দমননিপীড়ন আরও বাড়বে? | 1,572,847 |
2019-01-01 | শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানালেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক নেতারা | null | অনলাইন ডেস্ক | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572846/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 1 | রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|শেখ হাসিনা|আওয়ামী লীগ | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক নেতারা। মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই অভিনন্দন জানান তাঁরা। বিবৃতিতে মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংগ্রামী সালাম ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আহাদ চৌধুরী. মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু. ভাইস চেয়ারম্যান হারুনুর অর রশিদ. মো. আবদুল হাই. মো. কায়কোবাদ. আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী. মমিনুল হক. শাজাহান আলী চৌধুরী সেলিম. কমান্ডার মোশারেফ হোসেন. মো. আবুল খায়ের. জেলা কমান্ডার ফোরামের আহব্বায়ক আবুল ফয়েজ. মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন কবির ও সেক্রেটারি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের. আওয়ামী লীগ নেতা এ বি তাজুল ইসলাম. কামাল আহমেদ মজুমদার. কুয়েত আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদ ইসলাম পাপুলকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক নেতারা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য ভোটার এবং নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। | 1,572,846 |
2019-01-01 | হঠাৎ স্বর্ণকেশী-চৌদ্দ | ধারাবাহিক উপন্যাস | রিম সাবরিনা জাহান সরকার | ৭ | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572845/%E0%A6%B9%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6 | durporobash | online | 1 | null | আধ মাতাল ম্যাক্স তার পনেরো কী ষোলো নম্বর বিয়ারের বোতলে টান দিতে দিতে বলেছিল. ম্যাক্স ক্লারাকে আমি চিনি কিনা। আমি হ্যাঁ বলতেই ম্যাক্স এক অদ্ভুতুড়ে গল্পের ঝাঁপি খুলে বসল। ম্যাক্স আর লতার সৎ দাদা মানে স্নাইডার সাহেবের বাবা জ্যাকব স্নাইডার ছিলেন জার্মানির লাইপজিগ শহরের জাঁদরেল ডাক্তার আর বিজ্ঞানী ম্যাক্স ক্লারার ছাত্র। ছাত্রের গবেষণার জন্য বরাদ্দ ছিল মামুলি ইঁদুর কী বড়জোর গিনিপিগ। কিন্তু ফুসফুসের ওপর গবেষণা চালাতে গিয়ে একপর্যায়ে তরুণ জ্যাকবের আরও বড় প্রাণীর দরকার হলো। সেটা মানুষের লাশ হলে সবচেয়ে দারুণ হয়। কিন্তু ক্লারা তার উৎসাহে ভাটা দিলেন। কারণ. ইহুদিদের লাশ ক্লারা একান্ত নিজের গবেষণার কাজে লাগাতেন। সেখানে ছাত্রকে ভাগ দিতে তার মন সায় দিল না। তার বদলে তিনি জ্যাকবকে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো কুকুরের ওপর চালাতে বললেন। জ্যাকবও দেখল. প্রস্তাব মন্দ না। একবারে নিশ্চিত হয়েই মানুষের ওপর গবেষণা চালানো দরকার। কুকুর আর মানুষ শারীরতত্ত্বভাবে খুব কাছাকাছি। তাই গবেষণার ফলে আকাশ-পাতাল পার্থক্য হওয়ার আশঙ্কা ক্ষীণ। কিন্তু জ্যাকবের গোটা তিরিশেক কুকুর লাগবে। যুদ্ধের ডামাডোলে নাৎসিপন্থী ম্যাক্স ক্লারার ততোধিক নাৎসি ঘেঁষা জ্যাকব তখন খ্যাপাটে এক বুদ্ধি বের করে ফেলল। লাইপজিগ শহরের চারপাশের গ্রামে নাৎসিরা মাইকিং করে জানিয়ে দিল. পোষা কুকুরকে বিনা মূল্যে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অমুক তারিখে অমুক জায়গায় যেন যে যার কুকুর নিয়ে হাজির হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে ইউরোপ জুড়ে তুমুল জলাতঙ্কের প্রকোপ জার্মানির মানুষের মনে আছে। তাই লোকজনের কাছ থেকে সাড়াও পাওয়া গেল সেরকম। পরের ঘটনা সোজাসাপটা। জ্যাকব বেছে বেছে ইহুদি মালিকের কুকুরগুলোকে হাইডোজের কিটামিন-রম্পুন ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলল। তার ডান হাত একটুকুও হাত কাঁপল না। বাকি কুকুরগুলো ঠিকই র্যাবিসের টিকা নিয়ে লেজ নাড়তে নাড়তে খ্রিষ্টান মালিকের পিছু পিছু বাড়ি ফিরে গেল। অবশ্য ইহুদিদের একটা দল জোট পাকিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল বটে. কিন্তু নাৎসিদের ফাঁকা গুলির শব্দে ভয়ে প্রাণ নিয়ে পালাতে হয়েছিল তাদের সেদিন। তবে কুকুরের ফুসফুসের ওপর জ্যাকবের গবেষণা ষোলো আনা সার্থক। ম্যাক্স ক্লারা আর জ্যাকব মিলে পরবর্তীতে ইহুদিদের লাশের ওপর সেই বিদ্যা ফলিয়ে মানুষের ফুসফুসে নতুন একধরনের কোষ আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দিল। সেই কোষের নাম আবার দেওয়া হয় ‘ক্লারা কোষ’। কিন্তু সমস্যার শুরু হলো আরও পরে। যুদ্ধের প্রয়োজনে জ্যাকবকে নাৎসিদের সঙ্গে যোগ দিয়ে যুদ্ধে যেতে হলো। কোনো এক অপারেশনে গিয়ে জ্যাকব শত্রুপক্ষের গ্রেনেড হামলায় পড়ে। ডান হাতটা উড়ে গিয়ে খাঁড়ির ভেতরেই কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে। কিন্তু কী আশ্চর্য. কোথা থেকে এক বিশাল কুকুর এসে ছোঁ মেরে জ্যাকবের ডান হাতটা নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। তুমুল গোলাগুলি আর কামান-গ্রেনেডের ভিড়ে কুকুর আসল কীভাবে কেউ বলতে পারেনি। যুদ্ধ শেষ। ম্যাক্স ক্লারা আর তার শিষ্যদের ধরপাকড় করে জার্মানি থেকে বের করে দেওয়া হলো। হাতকাটা জ্যাকব পরিবার নিয়ে লুকিয়ে এই ডার্মষ্টাডে চলে এল। অজপাড়াগাঁয়ের লোক শহুরে একজন ডাক্তার পেয়ে বিগলিত। জ্যাকবদের কোনো অসুবিধা হলো না। কিন্তু উনিশ শ পঞ্চান্ন সালের এক শীতের সকালে জ্যাকব স্নাইডারকে তার পোষা কুকুর বাজেভাবে কামড়ে দিল। জলাতঙ্কের চৌদ্দটা ইনজেকশন দিয়েও লাভ হলো না। জ্যাকব স্নাইডারের ভয়ংকর হ্যালুসিনেশন শুরু হলো। তার পায়ের কাছে নাকি কালো রঙের ত্রিশটা কুকুর বসে থাকে। জ্যাকব কুকুরের মতো থাবা গেড়ে প্রচুর লালা ফেলতে ফেলতে সপ্তাহখানেকের মাথায় মারা গেল। রেখে গেল তিনটা নানা বয়সী ছোট ছোট বাচ্চা আর তরুণী স্ত্রী। তবে জ্যাকব মারা গিয়ে ভালোই হয়েছে। তাকে একটা বীভৎস মৃত্যু দেখতে হয়নি। দিন কয়েক বাদে তার তিন মাসের ছোট শিশু. মানে লতার সৎ বাবা স্নাইডারের সবচেয়ে ছোট ভাই জুলিয়ানকে খুঁজে পাওয়া গেল না। বাড়ি থেকে পাঁচ মাইল দূরে একটা ভুট্টা খেতে যখন তাকে পাওয়া গেল. তখন বড় বড় নখের আঁচড়ে সেটা আর মানবদেহ বলে চেনা যায় না। সেটা কুকুরের কাজ কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটুকু বলে ম্যাক্স আমার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিল. ‘এখন বল তো. এর পরে আর কে অপঘাতে মারা গেছে? বলতে পারলে তোমার জন্য দুই বোতল বিয়ার পুরস্কার।’ আমি আর কী বলব। সব শুনে কেমন অসাড় অসাড় লাগছে। আর মনে হচ্ছে এই বুঝি ঘাড়ের পেছন থেকে ইয়া বড় কুকুর লাফ দিয়ে পড়ল বলে। হাত উল্টে বললাম. ‘জানি না. তুমিই বল না।’ ম্যাক্স একটু চুপ থেকে যে কথা শোনাল. তার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না। ‘এমিলি। শার্লট মানে লতার যমজ এমিলি।’ বুকের ভেতরটা ধক করে উঠল। ম্যাক্স বলেই যাচ্ছে. ‘শার্লট আর এমিলি নাম দুটো রাখা হয়েছিল বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক শার্লট ব্রন্টি আর তার বোন এমিলি ব্রন্টির নামে। আমার মায়ের খুব প্রিয় লেখিকা এই দুজন।’ হতভম্ব আমি কথার মাঝখানে দুম করে বলে বসলাম. কিন্তু তোমরা তো স্নাইডার সাহেবের রক্তের সম্পর্ক নও. তাহলে কীভাবে?’ ম্যাক্স ফোঁস করে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠল. ‘জানি না. অনীক. ব্যাখ্যা নেই আমার কাছে। এমিলির ব্যাপারটা ঘটার আগে আমি এসব কুসংস্কার পাত্তা দিতাম না। এমিলি মারা যাওয়ার পর থেকে লতার জন্য ভয় ঢুকে গেছে। তাই হয়তো এসব কাকতালীয় ঘটনাকে চাইলেও উড়িয়ে দিতে পারি না।’ ম্যাক্স আবার চুপ। লতার ঘরের আধ ভেজানো দরজার দিকে তাকালাম। মেয়েটা ঘুমিয়ে আছে রাজ্যের মায়া মেখে। চোখ ফেরানো দায়। তবুও চোখ ফিরিয়ে আস্তে আস্তে বললাম. ‘এমিলির কী হয়েছিল?’ উত্তরে ম্যাক্স আঠারো নম্বর বোতলের ছিপি খুলে বসল। তারপর শুরু করল. ‘এমিলি মারা যায় বছর পাঁচেক আগে। লতা আর এমিলি বাড়ি এসেছিল ক্রিসমাসের ছুটিতে। এক বিকেলে হাঁটতে বেড়িয়েছে দুজন। কোত্থেকে কার এক কুকুর এসে আচমকা ধাক্কা দিল। এমিলি ছিটকে পড়ল রাস্তায়। সেকেন্ডের মাঝে একটা লরি চলে গেল মাথার ওপর দিয়ে। স্পট ডেড।’ আমি রুদ্ধশ্বাসে শুনে যাচ্ছি। দম ছাড়তেও ভয় লাগছে। লতার আর এমিলির দুর্ঘটনা প্রায় এক। স্নাইডার সাহেবের মারা যাওয়াটাও কুকুরকেন্দ্রিক। কিন্তু পার্থক্য. লতা দুর্ঘটনায় কুকুরের অংশটুকু আমি আর ফ্রাউ কেলনার মিলে ম্যাক্স আর তার মায়ের কাছ থেকে গোপন রেখেছি। এখন মনে হচ্ছে কাজটা ভুল হয়নি। পরিবারটা এমনিতেই বিরাট আতঙ্কের ভেতর আছে। কিন্তু সেই আতঙ্ক এখন আমার ভেতরও ঢুকে গেছে. তার কী হবে? ম্যাক্স উঠে দাঁড়াল. ‘অনেক রাত হয়েছে. অনীক। ঘুমিয়ে পড়. কেমন?’ ঘুম কী আর আসে? এপাশ-ওপাশ করে কাটল রাতটা। পরদিন ঝলমলে সকাল। গির্জাটা উঁচু একটা টিলার মতন জায়গায়। লতাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে আনতে হয়েছে। এখন রীতিমতো হাত ব্যথা করছে। গালিভার ম্যাক্স কেন যেন ইচ্ছে করে এই দায়িত্বটা আমার কাঁধে সঁপে দিয়েছে। তখন কী আর হ্যাঁ-না বলার সুযোগ থাকে? নিজেকে এখন আমার মহারানির সেবায়েত মনে হচ্ছে। রানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসন ঠেলে নিয়ে চলছি। লতা হাজারবার ‘সরি সরি. কষ্ট দিচ্ছি. ক্রাচটা দিলে নিজেই হেঁটে যেতে পারি...’ ইত্যাদি মেয়েলি কথাবার্তা বিরামহীনভাবে বলে বলে মাথা ধরিয়ে দিয়েছে। উত্তরে বলা উচিত ছিল. ‘আরে নাহ্. এ আর এমনকি।’ কিন্তু উল্টো দিয়েছি কষে এক ধমক. ‘অ্যাই মেয়ে. অ্যাই. বলেছি না চুপ করে থাকতে? এত কথা বলার কী আছে. উফ্!’ মেয়েটা সেই যে চুপ মেরে গিয়েছে. এখন পর্যন্ত আর কোনো কথা বলেনি। সে আজকে একটা ছাই রঙের টপের সঙ্গে কালো স্কার্ট পড়েছে। টিলার ওপরে ওঠার সময়ে আচমকা বাতাসে তার স্কার্ট নৌকার হাওয়া লাগা পালের মতো উড়ে মেরিলিন মনরোর ‘দ্যা ফ্লাইং স্কার্ট’ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। আঁতকে উঠে কোনোমতে সেটাকে পাকড়াও করে হাঁটুর নিচে গুঁজে দিয়েছি। তখনো লতা অস্পষ্ট একটা ধন্যবাদের মতন কী যেন আওড়ে আবার কুলুপ এঁটে চুপ। নিস্তব্ধতাটা বিকট ঠেকছে। আজকের দিনে লতার সঙ্গে এতটা রূঢ় না হলেও চলত। তাও আবার সামান্য কারণে। মাফটাফ চাইতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু মাফটা গলার কাছে এসে আটকে আছে। মুখ ফুটে বলা যাচ্ছে না। তাই অসহায়ের মতো চুপ করে থাকাই হলো। গির্জার ভেতরটা একেবারে হিম। অথচ বাইরে উষ্ণ সকাল। ম্যাক্সের ভয়ে নাকি নেহাত ভদ্রতায়. কোনটার কারণে সকালটা থেকে গিয়েছি. জানি না ঠিক। এখন ঠান্ডায় জমছি বসে বসে। লতাকে বাকিদের সঙ্গে সামনের সারিতে বসিয়ে দিয়ে এসেছি। আর আমি বসেছি বেশ খানিকটা পেছনের সারিতে। ইচ্ছে করেই। প্রশ্নবোধক চাহনি এড়াতে হয়তো বা। পাদরি সাহেব বাইবেল খুলে পড়া শুরু করেছেন। আমার সেদিকে মন নেই। কালকে ম্যাক্সের বলা কথাগুলো কানে ভাসছে। রাতের অন্ধকারে ম্যাক্সের কাহিনি রীতিমতো রোমাঞ্চকর মনে হয়েছে। কিন্তু এখন. এই ফকফকে দিনের আলোয় সব কেমন গাঁজাখুরি আর হাস্যকর লাগছে। তবুও কোথায় যেন একটা অস্বস্তি খচখচ করছে। (চলবে) ড. রিম সাবরিনা জাহান সরকার: মিউনিখ. জার্মানি। ধারাবাহিক এই উপন্যাসের আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন: | 1,572,845 |
2019-01-01 | পুরান ঢাকায় বই উৎসব | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572844/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%87-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC | bangladesh | online | 1 | রাজধানী|প্রাথমিক শিক্ষা | পুরান ঢাকার ওয়ারীতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বই উৎসব করেছে সূত্রাপুর থানা শিক্ষা অফিসার। মঙ্গলবার দুপুরে ওয়ারীর নারিন্দা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ উৎসব করা হয়। উৎসবের শুরু প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান। তিনি বলেন. ‘আগে পুরোনো বই দিয়ে নতুন ক্লাসের যাত্রা শুরু হতো। এর তিন থেকে চার মাস পর নতুন বই হাতে পেত শিক্ষার্থীরা। এখন বছরের প্রথম দিন বিনা মূল্যে বই দিচ্ছে সরকার। এতে শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি। পড়াশোনার মানও আগের চেয়ে ভালো। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব দিতে হবে।’ এ সময় তিনি একে একে সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই তুলে দেন। খুদে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পেয়ে উল্লাস করে। বই উৎসব অনুষ্ঠানে সূত্রাপুর থানা শিক্ষা অফিসার জামিলা আক্তার. এ থানার সাবেক শিক্ষা অফিসার মইনুল হোসেন. নারিন্দা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাহেরা পারভীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তা ছাড়া এ উৎসবে হাজি গোলাম মাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়. ওয়ারী বালিকা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়. মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়. ভজহরি সাহা স্ট্রিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। | 1,572,844 |
2019-01-01 | এরশাদের অবর্তমানে কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572841/%E0%A6%8F%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE | bangladesh | online | 1 | রাজনীতি|এরশাদ|জাতীয় পার্টি|একাদশ সংসদ নির্বাচন | হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অবর্তমানে তাঁর ভাই জিএম কাদেরই হবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আজ মঙ্গলবার এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে দলের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন। এরশাদ চিঠিতে বলেছেন. ‘আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখছি যে. আমার অবর্তমানে পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন । আশা করি. পার্টির জাতীয় কাউন্সিল আমার মতো তাঁকেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে পার্টির সার্বিক দায়িত্ব তাঁকে অর্পণ করবে।’চিঠিতে এরশাদ আশা করেন. দলের চেয়ারম্যান হিসেবে যত দিন তিনি দায়িত্ব পালন করবেন তত দিন জিএম কাদের তাঁকে সহযোগিতা করবেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাংসদ এরশাদ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য গত ১০ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে যান। চিকিৎসা নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরদিন ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকে তিনি রাজধানীর বারিধারা নিজের বাসভবনেই অবস্থান করছেন।৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে রংপুর যাননি। নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে জয়ী হয়েছেন এরশাদ। | 1,572,841 |
2019-01-01 | লালকার্ড ছাড়াই রামোসের ২০১৮ | null | খেলা ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572851/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AE | sports | online | 1 | ফুটবল|রিয়াল মাদ্রিদ|সার্জিও রামোস|লাল কার্ড | সার্জিও রামোসের ২০১৮ সাল কেটেছে স্বপ্নের মতই। শুধু শিরোপা অর্জন নয়. কার্ড দেখার দিক থেকেও গড়েছেন রেকর্ড। পেশাদারি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো বছর শেষ করলেন লাল কার্ড ছাড়া। অধিনায়ক হিসেবে ২০১৮ সালকে স্বপ্নের মতো একটা বছর বলতে পারেন রামোস। টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা তো আর মুখের কথা নয়. তাও আবার অধিনায়কের আর্মব্যান্ড নিয়ে। টানা তৃতীয় আর নিজের চতুর্থ ক্লাব বিশ্বকাপও জিতেছেন রামোস। সাফল্যের এ বছরে আরও এক অর্জনের সাক্ষী হয়ে আছেন রামোস। পেশাদারি ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনো বছর তিনি শেষ করেছেন লালকার্ড না দেখেই। মাঠের ভেতরের খেলায় অন্যদের মতো শান্তশিষ্ট তিনি নন। বরং বারবার নিজের আগ্রাসী আচরণের জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছে তাকে। মাঠের ভেতর নিয়মিত সতর্কবাণী তিনি শোনেন। প্রায়ই দেখেন লাল কার্ড। এ পর্যন্ত রামোস লাল কার্ড দেখেছেন ২৪টি—লা লিগায় এটি রেকর্ড। ব্যাপারটি এখন আর তেমন কোনো ঘটনা স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই তারকার কাছে। কিন্তু কী আশ্চর্য. এ বছর একটি লাল কার্ডও দেখেননি তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রেখেছিলেন সেই ২০০৫ সালে। লা লিগায় অভিষেক হয়েছিল সেভিয়ার জার্সি গায়ে। অভিষেকের বছরেই লাল কার্ড দেখেছিলেন। তখন থেকে বছরে একটি লাল কার্ডও পাননি—এমনটা কখনোই হয়নি। গত ১৪ বছরের মাথায় রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক হয়েছেন। এ বছরটা ছিল তাঁর জন্য অন্য রকমই। লা লিগায় প্রথমবার লাল কার্ড দেখেন এসপানিয়লের বিপক্ষে— ২০০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। সেই থেকে শুরু। সেভিয়ার জার্সিতে কোনো লাল কার্ড দেখেননি রামোস। এরপর লিগে আরও ১৮ বার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে ২৪ বার লাল কার্ড দেখেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি লাল কার্ড দেখেছেন বার্সেলোনার বিপক্ষে। এ পর্যন্ত বার্সার বিপক্ষে পাঁচবার লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। রিয়াল মাদ্রিদে ৩৭৬ ম্যাচে ২৪ লাল কার্ড দেখেছেন রামোস। গড়ে প্রতি ১৬ ম্যাচে একবার করে।তবে ২০১৮ সালে সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৪২ বার মাঠে নামলেও একবারও লাল কার্ড দেখে মাঠে ছাড়তে হয়নি রামোসকে। তবে গত বছর হলুদ কার্ড দেখেছেন পাঁচবার। শেষবারের মতো রামোস লাল কার্ড দেখেছিলেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। সেবার অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ক্লাবের ক্ষেত্রে তিনি যেমন তেমন. তবে জাতীয় দলে তিনি খুবই সাবধানী। স্পেনের হয়ে ১৬১ ম্যাচ খেলে ফেললেও একটি লাল কার্ডও দেখেননি রামোস! পুরোনো বছর শেষের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভালো গুণটা নিশ্চয় বিসর্জন দিতে চাইবেন না রামোস। | 1,572,851 |
2019-01-01 | আ.লীগের এজেন্টকে মারধর. দুই বিএনপি কর্মী কারাগারে | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ২৮ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572839/%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87 | bangladesh | online | 1 | অপরাধ|আইন ও বিচার|রাজধানী|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি | ঢাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্টকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপির দুই কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো ওই দুই কর্মী হলেন রিফাত (২০) ও আসিফ (২৩)। গত সোমবার এই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়. আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট শেখ মো. পল্টু (৪৭) এই মামলার বাদী তিনি। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যাত্রাবাড়ীর শেখদী আবদুল্লাহ মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পল্টু। ভোট গণনা শেষে ভোটকেন্দ্র থেকে বাইরে বের হলে সন্ধ্যার সময় পল্টুকে ওই দুই আসামি এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় তাঁকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়. আওয়ামী লীগের এজেন্ট পল্টুর কাছ থেকে জোর করে আসামি রিফাত ও আসিফ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা কেড়ে নেন। পল্টুকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের খুঁজে বের করার জন্য ওই দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন. আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এজেন্ট পল্টুকে মেরে ডান হাত ভেঙে দিয়েছেন বিএনপির এই দুই কর্মী। এই অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসঙ্গত. নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী নবী উল্লাহ নবী। | 1,572,839 |
2019-01-01 | নেকলেস | null | কাজী সাবরিনা তাবাসসুম | ১ | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572836/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B8 | durporobash | online | 1 | null | সকাল থেকেই আমি ছটফট করছি। অস্বস্তি ভাবটা জোঁকের মতো চুষে চুষে খাচ্ছে আমাকে। অবশ্য আমার এই অবস্থার জন্য দায়ী আমি নিজেই। আমি আজ সকালে একটা নেকলেস চুরি করেছি। আমার বান্ধবী আদিবার নতুন বিয়ে হলো। বিয়েতে যেতে পারিনি। তাই বিয়ের অভিনন্দন জানাতে ভাবলাম দেখা করে আসি। খালি হাতেও যাইনি কিন্তু। সুন্দর একটা ফুলদানি কিনেছিলাম আদিবার জন্য। সে আবার খুব ফুল পছন্দ করে কি না! কিন্তু গিয়ে দেখি সে কী কাণ্ড! ফুল পাগলি ওই আদিবা কোথায়? গাভর্তি গয়না পরে টুকটুকে একটা বউ বসে ছিল বিছানার এক কোণে। আমায় দেখে সে কী হাসি। টেনে ধরে ডাইনিং টেবিলে নিয়ে বসাল। এত বড় ডাইনিং টেবিল. এত বাহারি খাবার আর মিষ্টিতে ভরপুর থাকতে পারে. তা ছিল আমার ধারণার বাইরে। টেবিলে আবার খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও আরও অনেক দৃষ্টিনন্দন জিনিসে ভর্তি। এই যেমন মোমবাতি. ফুলদানি আরও কত কী! আমি খেতে খেতে ফুলদানিগুলো দেখলাম। আদিবার জন্য কেনা ফুলদানিটা ছুড়ে ফেলে দিতে মন চাইল! আচ্ছা. আমি যে কত দোকান ঘুরে ফুলদানিটা কিনলাম. কই কোথাও তো আদিবার টেবিলে রাখা ফুলদানি চোখে পড়ল না! এগুলো মনে হয় বিদেশি। ফুলদানি যে এত সুন্দর হতে পারে তা আমি জানতামই না! কিন্তু ফুলদানির কি এত সুন্দর হওয়া উচিত? তাতে রাখা হবে ফুল। ফুলের চেয়ে ফুলদানি দৃষ্টিনন্দন হবে কেন? আমি যখন এই সব অপ্রয়োজনীয় কথা ভাবছিলাম. আদিবা একটা ধাক্কা দিয়ে আমার চিন্তার ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিল। বাচ্চাদের মতো লাফালাফি শুরু করল বিয়েতে পাওয়া গয়না আমাকে দেখাবে বলে। আমি দেখতে লাগলাম। আরে বাবা! কত গয়না হতে পারে মানুষের? আদিবা একটা একটা করে বের করছে আর বিছানায় রাখছে। নেকলেস. ঝুমকো. চুড়ি. আংটি আরও কত কিছু. আমি তো নামটাও জানি না। আমি গয়না দেখছিলাম কম আর আদিবাকে দেখছিলাম বেশি। হঠাৎ কী মনে করে যেন একটা নেকলেস ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেললাম! আমি কিন্তু চোর নই। আদিবাকে দেখে হিংসাও জাগেনি মনে। আবার এমনও নয় যে আমার নুন আনতে পান্তা ফুরায়! আদিবার মতো টাকার বিছানায় ঘুমাই না. কিন্তু ছোটখাটো একটা চাকরি করে দিন চলে যায় আমার। তাহলে নেকলেসটা চুরি করলাম কেন? ওহ হো! আসলে তা আমি নিজেই জানি না। হয়তো আমারও আদিবার মতো গয়না পরে সেজেগুঁজে বসে থাকার বাসনা জেগেছিল! কে জানে? আদিবার গয়নার পসরায় আমি ভুলেই গিয়েছিলাম চুরির কথা। এখন বাসায় এসে ছটফট শুরু হয়ে গেছে। কেন চুরি করলাম? কী করে পারলাম? কী হবে এটা দিয়ে? আদিবা যখন বুঝতে পারবে তখন কী হবে? শুনেছি ধনীদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে। যদি আমার চুরির ঘটনা কেউ দেখে ফেলে? এতসব ভাবতে ভাবতে নেকলেসটা বের করে গলায় পরলাম। বাহ! আমাকে তো ভালোই মানায়। রেখে দেব নাকি? কী যে বোকা আমি! রেখে দিলে তো সবাই জিজ্ঞেস করবে কোথায় পেলাম এই নেকলেস? ধরা পড়ে যাব। বিক্রি করে দিতে হবে। কত টাকা পাওয়া যাবে? নিশ্চয়ই অনেক। এটা হিরা নাকি সোনা? কিংবা হিরা. সোনা. চুনি. পান্না সবকিছুর সন্নিবেশও হতে পারে। কত সুন্দর এই সব জিনিস। চুরি করে আনলাম বলে অন্তত গলায় পরে নিজেকে দেখতে তো পারলাম! কেমন দেখায় আমাকে। ফোনটা হাতে নিলাম একটা ছবি তোলার জন্য। হঠাৎ মনে হলো আদিবা তো ফোন করল না! সে কী বুঝতে পারেনি একটা নেকলেস গায়েব? ঠিক সেই সময় কলিং বেল বাজল। আমি তড়িঘড়ি করে নেকলেসটা একটা ড্রয়ারে রেখে দৌড়ে গেলাম দরজা খুলতে। সে কী! আদিবা দাঁড়িয়ে। সেই বউ বউ আবেশটা নেই। কেমন হন্তদন্ত চেহারা। আমায় দেখেই জড়িয়ে ধরল খুব দ্রুত। হাউমাউ করে কেঁদে চলছে। বহু কষ্টে বাসার ভেতরে এনে বসালাম। ওর অবস্থা দেখে নেকলেসের কথা ভুলেই গেলাম। বললাম. এত রাতে এখানে? আদিবা যা বলল তার জন্য আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসার পর ও আর ওর শাশুড়ি মিলে গয়না গোছাচ্ছিল। হঠাৎ খেয়াল করল একটা নেকলেস গায়েব। শাশুড়ি আদিবাকে জিজ্ঞেস করল। কিন্তু সে বেচারী তো কিছুই জানে না। ওর শাশুড়ি কিছুতেই বিশ্বাস করলেন না। তিনি ভাবলেন আদিবা ওই নেকলেস চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে। রেগেমেগে তিনি আদিবাকে বাসা থেকে বের করে দিলেন। বলে দিলেন গয়না ছাড়া বাসায় ঢোকা নিষিদ্ধ। এই রাতে মেয়েটি কোনো কূল কিনারা খুঁজে না পেয়ে আমার কাছে এল একটুখানি আশ্রয়ের আশায়। আমি এক মিনিট দেরি না করে নেকলেসটা এনে ওর হাতে দিলাম। বললাম ভুলে হয়তো আমার ব্যাগের সঙ্গে আটকে গিয়েছিল. আমি নিজেই দিয়ে আসতাম! ও এসে ভালোই করেছে. ওর জিনিস ওই নিয়ে যাক। আদিবা ভয়ে আর শোকে এমন পাথর হয়ে ছিল যে নেকলেস হাতে নিয়েই দৌড় দিল। কিছুই জানতে চাইল না। আমিও বেঁচে গেলাম লজ্জার কাহিনি লুকাতে পেরে! কিন্তু এই চুরি আজ আমায় বড় একটা শিক্ষা দিল। সকালে আদিবার ডাইনিংয়ের ওই দামি দামি ফুলদানির মূল্য আমি এখন বুঝলাম। এ সমাজে প্রাকৃতিক ফুলের চাইতে সিরামিকের ওই ফুলদানি বেশি মূল্যবান। ফুল ফেলে দিতে দ্বিধাবোধ করে না কেউ কিন্তু ফুলদানির কোনো ক্ষতি যেন না হয় লক্ষ্য সে দিকেই। হঠাৎ আমার আদিবাকে মনে হলো ফুল আর ওর গয়নাগুলো একেকটা মহা মূল্যবান ফুলদানি। সুখে থাকুক আদিবা নামের ফুলটি। সারা দিনের ছটফট ভাবটা কেটে গেল একদম। কাজী সাবরিনা তাবাসসুম: মিলান. ইতালি। | 1,572,836 |
2019-01-01 | ব্যতিক্রমী আয়োজনে ব্রিসবেনে ব্যাবের বর্ষবরণ | null | ফারুক রেজা. ব্রিসবেন (অস্ট্রেলিয়া) থেকে | null | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572835/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%A3 | durporobash | online | 1 | null | সবাই যখন ব্যস্ত নাচ-গান. ডিজে আর আতশবাজির আলোকচ্ছটায় নতুন বছরকে বরণ করার জন্য. ঠিক সেই সময়ই আরেক দল তরুণ ব্যস্ত অভাবী. গৃহহীন ও খাবারহীন ছিন্নমূল মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে! হোক তা মাত্র কিছু সময়ের জন্য. তবুও জীর্ণ জরাকে পিছে ফেলে নতুন বছরের শুরুতে এমন অগ্রযাত্রা সৃষ্টির সেরা জীবের দায়বদ্ধতাকেই যেমন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে. তেমনি সংগঠনের কার্যক্রমকে নিয়ে গিয়েছে ভিন্ন স্তরে। ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন (ব্যাব) বরণ করেছে নতুন বছরকে। গতকাল সোমবার ২০১৮ সালের শেষ দিন সন্ধ্যায় ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে ব্যাবের পক্ষে থেকে খাবার বিতরণ করা হয়। এ দিন নগরীর রোমা সড়কের নিকটস্থ ইমা মিলার প্লেসে প্রায় এক শ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত খাবার বিতরণ করা হয়। কুইন্সল্যান্ড পুলিশ বিভাগ (কিউপিএস) ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠন রোজিসের (ROSIS) সহায়তায় ব্যাবের কর্মসূচিতে বাংলাদেশি ডাক্তারদের সংগঠন (এসবিডিকিউ) ও রোহিঙ্গা সাপোর্ট গ্রুপ অস্ট্রেলিয়া অংশগ্রহণ করে। আগে থেকেই বাংলাদেশি কমিউনিটির কয়েক শ সাধারণ মানুষ নির্ধারিত স্থানে প্যাকেটজাত শুকনা খাবার রেখে যান। বিতরণের একদিন আগে তা সংগ্রহ করে প্যাকেট করা হয়। উল্লেখ্য. গত মাসের মাঝামাঝিতে ফেসবুক ও ইমেইলের মাধ্যমে এই কর্মসূচির কথা জানানো হলে সাধারণ মানুষের সাড়া ছিল অসাধারণ। ফেসবুক ও ইমেইলে তারা ব্যাবের এই কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন। | 1,572,835 |
2019-01-01 | বিরোধীদলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জাতিসংঘের | null | অনলাইন ডেস্ক | ৬ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572838/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 1 | রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতিসংঘ|শেখ হাসিনা | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে ও নির্বাচনের দিন হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তবে গত ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবার জাতীয় নির্বাচনে বিরোধীদলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মুখপাত্রের কার্যালয় গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে. সকল পক্ষকে সংযত থাকতে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি. যাতে জনগন সমাবেশ ও মত প্রকাশের অধিকার ভোগ করতে পারে। জাতিসংঘ সকল দলকে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগসমূহের প্রতিকার শান্তিপূর্ণভাবে এবং আইনগত প্রক্রিয়ায় করার জন্য অনুপ্রাণিত করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়. জনগণ ও সম্পত্তির উপর হামলা ও সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়. বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরমতে. নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাচ্ছেন। তবে বিরোধীরা কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। | 1,572,838 |
2019-01-01 | প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন সৌদি. কাতার ও শ্রীলঙ্কার নেতারা | null | বাসস. ঢাকা | ১৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572834/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93 | bangladesh | online | 1 | আওয়ামী লীগ|প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা|একাদশ সংসদ নির্বাচন|সৌদি আরব|কাতার|শ্রীলঙ্কা | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি আরব. কাতার ও শ্রীলঙ্কার নেতারা। মঙ্গলবার পৃথক বার্তায় তাঁরা এ অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম জানান. সৌদি আরবের বাদশাহ ও পবিত্র দুই মসজিদের রক্ষক সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বার্তা পাঠিয়েছেন। সৌদি বাদশাহ তাঁর বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য কামনা করেন এবং বাংলাদেশের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। নির্বাচনী বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি. অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি শেখ হাসিনার সাফল্য কামনা করেন। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে পৃথকভাবে টেলিফোন করেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য দুজনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। আলাপকালে তিন নেতা আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক ও সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে। | 1,572,834 |
2019-01-01 | মালয়েশিয়ান লিগে বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড় | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | null | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572840/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9C | sports | online | 1 | মালয়েশিয়া|হকি|খেলা | মালয়েশিয়ান হকি লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় হকি দলের ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমি ও ডিফেন্ডার ফরহাদ আহমেদ শিতুল। দেশের দুই হকি তারকাকে ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক মালয়েশিয়ান কোচ গোপীনাথান কৃষ্ণমূর্তি। ৩ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই লিগ। এর আগে জাতীয় দলের সাবেক জার্মান কোচ গেরহার্ড পিটারের হাত ধরে জার্মানির নিচের ডিভিশনে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছিল বাংলাদেশের হকি খেলোয়াড়দের। এবার জাতীয় দলের আরেক সাবেক কোচের হাত ধরে মালয়েশিয়ান লিগে খেলার সুযোগ পেলেন জিমি ও শিতুল। ইতিমধ্যে ফেডারেশন থেকে খেলার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করলেন সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক.‘গোপীনাথান কৃষ্ণমূর্তির মাধ্যমে জিমি ও শিতুল এবারের মালয়েশিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।’ ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি দলটি মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় স্তরে খেলে থাকে। মালয়েশিয়ান লিগের আগে পাকিস্তানের টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ এসেছিল শিতুলের সামনে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক ডিফেন্ডার আশরাফুল রানা। ফেডারেশন থেকে পাকিস্তানে খেলতে অনাপত্তি মিললেও শিতুল এবং আশরাফুলকে ছাড়পত্র দেননি তাঁদের সংস্থা। তাই পাকিস্তান পর্ব আপাতত বাদ। | 1,572,840 |
2019-01-01 | এপ্রিলে ঢাকায় ৬ জাতি আন্তর্জাতিক ফুটবল | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৪ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572832/%E0%A6%8F%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A7%AC-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2 | sports | online | 1 | ফুটবল|আন্তর্জাতিক ফুটবল|ঢাকা | চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ছয় জাতি বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। জাতীয় দলের নয়. টুর্নামেন্টটি হবে অনূর্ধ্ব ১৯। আর বাংলাদেশ জাতীয় দল তো ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের নিয়েই গড়া। বাংলাদেশের ফুটবলে জন্য সুখবরই বটে। নতুন বছরের প্রথম দিনই ভালো খবর নিয়ে হাজির বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ছয় জাতি বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। জাতীয় দল নিয়ে নয়. টুর্নামেন্টটি হবে অনূর্ধ্ব ১৯। নতুন টুর্নামেন্টের খবরটি আজ বাফুফে ভবনে বসেই দিয়েছেন সালাউদ্দিন. ‘ঢাকায় অনূর্ধ্ব ১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হবে। টুর্নামেন্টে খেলবে ছয়টি দল এবং দলগুলোর মান হবে খুব ভালো।’ সিঙ্গাপুর. মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে বাফুফে। তাঁদের ইচ্ছে এমন সব দেশ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করুক. যাদের সঙ্গে লড়াই হবে বাংলাদেশের। সাফের মতো যেন বিশাল বিশাল ব্যবধানে জয় পেতে না হয়। দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের দুর্দান্ত প্রতাপ। কিন্তু অক্টোবরে তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত এএফপি অনূর্ধ্ব-১৯ বাছাইপর্বে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছে মারিয়া মান্দা. মৌসুমিরা। উত্তর কোরিয়ার কাছে ৭-০ গোলের হার দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে বিদায়। আর নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে স্বাগতিক তাজিকিস্তানকে ৫-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টটি শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টটির আগে মার্চেই নেপালে অনুষ্ঠিত হবে সিনিয়র নারীদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এর আগে মিয়ানমারে খেলবে এএফসি অনূর্ধ্ব- ১৬ বাছাইপর্বের ম্যাচ। এই দুই দল মিলিয়েই তো বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। | 1,572,832 |
2019-01-01 | দলের পর অধিনায়কত্বও পেলেন মুশফিক | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৯ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572831/%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95 | sports | online | 1 | মুশফিকুর রহিম|ক্রিকেট|বিপিএল টি২০ | শেষ মুহূর্তে শুধু ‘আইকন’ হিসেবেই নেয়নি. চিটাগং ভাইকিংস মুশফিকুর রহিমকে ঘোষণা করল অধিনায়ক হিসেবেই। রাজশাহী কিংস ছেড়ে দেওয়ায় মুশফিকুর রহিমকে উঠতে হতো বিপিএলের নিলামে। কিন্তু সেটি উঠতে হয়নি। নিলামে ওঠার আগেই ‘আইকন’ হিসেবে মুশফিক দল পেয়ে গিয়েছিলেন। মুশফিককে এই সম্মান দেওয়া চিটাগং ভাইকিংস এবার আস্থার হাত আরও প্রসারিত করল। মুশফিককে অধিনায়কও বানাল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। গত বিপিএল মুশফিক খেলেছেন রাজশাহী কিংসের সহ-অধিনায়ক হিসেবে। এবার চিটাগং ফ্র্যাঞ্চাইজির চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ ঘটা করেই ঘোষণা করেছেন. বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক আসন্ন বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসকে নেতৃত্ব দেবেন। বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপারকে অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে বেশ খুশি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির স্বত্বাধিকারী. ‘এ বছর আমাদের দলটা দুর্দান্ত হয়েছে। মুশফিক. (লুক) রনকি. সিকান্দার রাজা. ডেলপোর্টের মতো অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আমরা মুশফিককে অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে ভীষণ খুশি। আশা করি এই মৌসুমটা আমাদের দুর্দান্তই কাটবে।’ ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই চিটাগং মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের। | 1,572,831 |
2019-01-01 | উৎসবের মাস | null | মে. শফিকুর রহমান. অ্যাডিলেড (অস্ট্রেলিয়া) থেকে | null | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572828/%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8 | durporobash | online | 1 | null | অস্ট্রেলিয়ায় ডিসেম্বর হচ্ছে উৎসবের মাস। এই উৎসব যেমন লেগে থাকে মানুষের চোখে-মুখে. তেমনি বোঝা যায় প্রকৃতিতে। উল্লেখযোগ্য উৎসবের মধ্যে আছে বড়দিন. বক্সিং ডে. ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও থার্টি ফার্স্ট নাইট। তাই এ মাসের শুরুতেই সবাই বলতে চান আমি কিন্তু অফিসে থাকব না। দরকার হলে যোগাযোগ করতে পার ইমেইলে। এভাবে ছুটিতে তারা ছুটে যান বিভিন্ন দেশে। আর আবহাওয়ার মেজাজও থাকে গরম। তেমনি এর বিপরীত মেরুর দেশগুলোতে দেখা যায় শীতের কনকনে কাঁপুনি। এখানে যখন দেখি ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড. সে সময় কোরিয়াতে শুনলাম -সাত ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এ দেশকে অবলীলায় বলা যায় বড় শহরের শান্ত গ্রাম। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে থাকে বড়দিন। বড়দিন এ দেশের সব থেকে বড় উৎসব। এ জন্য শহরে সব জায়গায় দেখা যায় ক্রিসমাস ট্রি। কিছু ক্রিসমাস ট্রি তৈরি করা হয় কৃত্রিমভাবে। আবার কিছু গাছ বেড়ে উঠেছে প্রকৃতিগতভাবে। তবে সব গাছই ছোট ছোট মিটির মিটি বাতি দিয়ে আলোকোজ্জ্বল করা হয়। আর উৎসব উপলক্ষে বেশির ভাগ বাড়িতেই রংবেরঙের বাতি জ্বালানো হয় সন্ধ্যার পর। চলে নানা ধরনের খাওয়া দাওয়া আর উপহার বিনিময়। বড়দিনের উৎসবের শুরুর দিনে সকালেই চার্চ যায় বেশির ভাগ। গান আর প্রার্থনায় সময়গুলো তারা পার করেন। এ মাসে কিছু তরুণ বিভিন্ন ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে গান বাজনায় মেতে ওঠে। এই বড়দিনের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সান্তা ক্লজ সাজা। মাথায় থাকে লাল রঙের টুপি আর থাকে সাদা দাঁড়ি। মাঝে মাঝে তারা বসে সময় কাটান কিছু ক্রিসমাস গাছের চারদিকে। অ্যাডিলেড শহরের কেন্দ্র হচ্ছে ভিক্টোরিয়া স্কয়ার। জায়গাটা বেশ গোলাকৃতির। এখানে বসে ছোটখাটো মেলা। নতুন বাতি. আলোকসজ্জা ও নাগরদোলা দেখা যায়। দিনগুলো থাকে সরকারি ছুটি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। এদের কাছে উৎসব মানে কাজহীন সময় কাটানো। খ্রিষ্ট রীতি অনুসারে ক্রিসমাস মানে হচ্ছে যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন। আর এই দিন থেকেই গণনা করা হয় খ্রিষ্টীয় সাল। এর মানে হচ্ছে ২০১৮ বছর আগে যিশুখ্রিষ্ট এই পৃথিবীতে আসেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত কিছু দেশে বড়দিনের পরের দিনটিকে পালন করে বক্সিং ডে। এ দিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সকল পণ্যে একটা বিশেষ ছাড়। যাকে উৎসব না বলে আর কীই বা বলা যায়। এ জন্যই দোকানগুলোতে দেখা যায় বাড়তি ভিড়। শোনা যায় মানুষের সরগরম ধ্বনি। যা অনেকটা আমাদের দেশের ঈদের আগে দিনের সরগরম বাজার। আর শহরের বাস–ট্রামে চলাচলের জন্য ফ্রি করে দেয় সরকার। এ মাসের শেষের দিকে আছে থার্টি ফাস্ট নাইট। এই বিশেষ দিনে সিটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ উৎসব। গভীর রাত পর্যন্ত আয়োজন করা হয় আলোকসজ্জা উৎসব। যা দেখার জন্য বিকেল থেকেই ভিড় জমান সকল শ্রেণি পেশার লোকজন। কিছু কিছু সি বিচে আয়োজন করে কনসার্ট। মানুষের যাতায়াত সহজ করার জন্য থাকে বাড়তি যানবাহনের ব্যবস্থা। কিছু কিছু বাড়িতে ব্যক্তিগতভাবে আয়োজন করে ঘরোয়া অনুষ্ঠান আর আলোকসজ্জা। সমুদ্রতীরেও জমে ওঠে আতশবাজি (ফায়ার ওয়ার্কস)। এই অনুষ্ঠানগুলো অনেকটা একই ধরনের। একই সঙ্গে দেখা যায় শেষ সূর্য ডোবার দৃশ্য আর আতশবাজি শব্দ। এরা নিজেদের সংস্কৃতি ধারণ করে রেখেছে নিজেদের মতো করে। যেখানে আছে নানান ধরনের উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনা। কিন্তু নেই কোনো সাংস্কৃতিক অসুস্থতা। এই উৎসবের সময়টা হয়তো বেশ অল্প তবুও মানুষ চায় তাদের মনকে রাঙাতে। দোষ তো কিছু নেই। হোক মুখর আমাদের সবার মন ও মনন এই উৎসবে। আর ভালো থাক তার মন আর তাদের মনের রঙিন ভালোবাসা। জয় হোক উৎসবের এবং ভালো থাকুক মানুষের ভালো মন। | 1,572,828 |
2019-01-01 | ১৮৬ আসনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট | ইভিএমে ভোটার কম | হারুন আল রশিদ. ঢাকা | ৪৭ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572833/%E0%A7%A7%E0%A7%AE%E0%A7%AC-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A7%AE%E0%A7%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F | bangladesh | online | 2 | নির্বাচন|নির্বাচন কমিশন|একাদশ সংসদ নির্বাচন|ইভিএম|জাতীয় পার্টি|বিএনপি|আওয়ামী লীগ | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮৬টি আসনে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ১৩টি আসনের ভোট ৯০ শতাংশেরও ওপরে। অন্যদিকে ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে মাত্র ৩টি আসনে। অন্যদিকে ৮০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে ১১২টি আসনে। নির্বাচনের ফলাফল বিবরণী পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ৯০ শতাংশের বেশি ভোটপড়া ১৩টি আসন হলো-রংপুর-৬ (৯০.৬৪ শতাংশ). বগুড়া-১ (৯১.০৪). সিরাজগঞ্জ-১ (৯৪.৫৯). টাঙ্গাইল-২ (৯০.৪১). জামালপুর-২ (৯০.৩৮). জামালপুর-৩ (৯২.৫৬). গোপালগঞ্জ-১ (৯৪.৯১). গোপালগঞ্জ-২ (৯০.৯৮). গোপালগঞ্জ-৩ (৯৩.২৪). মাদারীপুর-১ (৯৩.৪২). মাদারীপুর-২ (৯২.১২). শরিয়তপুর-১ (৯৩.৪৮) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (৯৩.৪৫ শতাংশ)। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে খুলনা-২ আসনে ৪৯.৪১ শতাংশ. ঢাকা-৬ আসনে ৪৫.২৬ এবং ঢাকা-১৩ আসনে ৪৩.০৫ শতাংশ। এ তিনটি আসনে ইভিএমে ভোট হয়েছে। খুলনা-২ আসনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ১১৬ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ২১০ ভোট। তাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন পেয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৭৯ ভোট। ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ পেয়েছেন ৯৩ হাজার ৫৫২ ভোট। নিকটতম গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৯০ ভোট। ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাদেক খান পেয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৩ ভোট। বিএনপির আবদুল সালাম পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৩২ ভোট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়েছে ৬টি আসনে। তুলনামূলকভাবে এসব আসনে ভোটগ্রহণের হার কম। ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি আসনের কোথাও না কোথাও ইভিএমের ত্রুটির কারণে ভোটগ্রহণ বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ইভিএমে ভোট হওয়া অপর তিনটি আসনে ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-৯ আসনে ৬২.৮৭. রংপুর-৩ আসনে ৫২.৩১ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনে ৫২.৮২ শতাংশ। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী পেয়েছে ২৫৭ আসন। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পেয়েছে ৫ আসন। বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২ টি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় একচেটিয়া। অল্প কিছু আসনে বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা লক্ষ করা গেছে। অল্প কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগ আসনেই ক্ষমতাসীন দলের বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীদের ভোটের পার্থক্য অনেক। জয়ী-পরাজিত প্রার্থীর মধ্যে ভোটের পার্থক্য কম যেসব আসনে: পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের মাজহারুল হক প্রধান পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৮ ভোট। নিকটতম বিএনপির নওশাদ জমির পেয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ ভোট। পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম সুজন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৪ ভোট। বিএনপির ফরহাদ হোসেন আজাদ পেয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫ ভোট। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেন পেয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৮ ভোট। এই আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পেয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৮০ ভোট। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির জাহিদুর রহমান ৮৮ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক পান ৮৪ হাজার ৩৯৫ ভোট। দিনাজপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৩ ভোট। বিএনপির এ জেড এম রেজওয়ানুল হক পেয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৭ ভোট। কুড়িগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগের আছলাম হোসেন সওদাগর ১ লাখ ২১ হাজার ৯০১ ভোট। বিএনপির সাইফুর রহমান রানা পান ১ লাখ ১৮ হাজার ১৩৪ ভোট। বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির মোশাররফ হোসেন পান ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৫ ভোট। জাসদের রেজাউল করিম তানসেন পান ৮৬ হাজার ৪৮ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সামিল উদ্দিন পান ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৮ ভোট। বিএনপির শাহজাহান মিয়া পান ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫০ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির আমিনুল ইসলাম পার ১ লাখ ৭৫ লাখ ৪৬৬ ভোট। আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান পান ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫২ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুল ওদুদ পান ৮৫ হাজার ৯৩৮ ভোট। বিএনপির হারুনুর রশীদ পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬১ ভোট। নওগাঁ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাধন চন্দ্র মজুমদার পান ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৯০ ভোট। বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৬। নওগাঁ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের ছলিম উদ্দিন তরফদার পান ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৮১ ভোট। বিএনপির পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী পান ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৩ ভোট। রাজশাহী-২ আসনে আওয়ামী লীগের ফজলে হোসেন বাদশা পান ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫৩ ভোট। বিএনপির মিজানুর রহমান মিনু পান ১ লাখ ৩ হাজার ৩২৭ ভোট। বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু পান ৫৪ হাজার ৭৭৮ ভোট। বিএনপির জয়নাল আবেদীন পান ৪৭ হাজার ২৮৭ ভোট। টাঙ্গাইল-৮ আসনে আওয়ামী লীগের জোয়াহেরুল ইসলাম ৫৮ হাজার ৯৮৭ ভোট। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কুঁড়ি সিদ্দিকী পান ৪৪ হাজার ৭৩৫ ভোট। মৌলভীবাজার-২ আসনে গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর পান ৭৯ হাজার ৭৪২ ভোট। বিকল্পধারার এম এম শাহীন পান ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট। কুমিল্লা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সুবিদ আলী ভূঁইয়া পান ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ ভোট। বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন পান ৯৫ হাজার ৫৪২ ভোট। | 1,572,833 |
2019-01-01 | স্মিথকে কিছু প্রশ্ন করবেন এনামুল | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৭ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572830/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B2 | sports | online | 2 | ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট | স্টিভেন স্মিথ এলে শুধু কুমিল্লা শক্তিশালীই হবে না. উপকৃত হবে দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। এনামুল হক জানালেন. তিনি কিছু প্রশ্ন করবেন সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে। অনেক জল ঘোলা হয়েছে স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে। অস্ট্রেলীয় তারকার বিপিএল খেলা নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অবশ্য শেষ পর্যন্ত একটা আশার খবর পেয়েছে। স্মিথ যোগ হলে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ শক্তিশালী হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শুধু মাঠের পারফরম্যান্সেই নয়. সাবেক এ অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে পারলে উপকৃত হবেন কুমিল্লার তরুণ ক্রিকেটাররাও।ওপেনার এনামুল হক তো অনেক প্রশ্ন সাজিয়ে রেখেছেন। স্মিথ এলেই প্রশ্নগুলো তিনি করবেন. ‘বিশ্ব ক্রিকেটে সে অনেক বড় তারকা। আমরা যারা তরুণ ক্রিকেটার আছি সবাই ওকে প্রশ্ন করব। চেষ্টা করব তাঁর থেকে ভালো কিছু জানার। ক্রিকেটে শেখার শেষ নেই। আমার কাছে মনে হয় এত বড় তারকার কাছে ছোট ছোট অনেক কিছুই শেখার আছে। আমি নিজেও কিছু প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছি. সে এলে করব। প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যদি কিছু শিখতে পারি. পরে আমার যদি উপকার হয় তাহলে সেটি নেওয়ার চেষ্টা করব। দলে আরও বড় বড় ক্রিকেটার আছে। আফ্রিদি আছে. শোয়েব মালিক আছে. তামিম ভাইয়ের মতো খেলোয়াড় আছেন। আমার কাছে মনে হয় বিপিএল অনেক বড় একটি মঞ্চ. বড় তারকাদের জায়গা। আমি চেষ্টা করব সবার কাছে একটু একটু করে নিয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগানোর।’ এই মুহূর্তে জাতীয় দলের বাইরে আছেন এনামুল। গত বছর অবশ্য দুবার ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। কোনো সুযোগই তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে বিশ্বকাপ। জাতীয় দলে ফিরতে না পারলে বিশ্বকাপ যে দূরের বাতিঘর হয়ে যাবে. সেটি জানেন বলেই এনামুল মনে করেন. যে লিগ বা টুর্নামেন্টই খেলুন. সবই তাঁর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি. ‘যখন উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলাম (গত আগস্টে). যখন ম্যাচগুলোয় ভালো করতে পারলাম না. তখন থেকে প্রতিটি ম্যাচই আসলে আমার কাছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। সেটা জাতীয় লিগে বলেন. বিসিএল বলেন. বিপিএলের প্রতিটি ম্যাচ এবং বিপিএলের পরে যদি কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলি অথবা যেকোনো ম্যাচই আমার জন্য ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি। সব সময় তৈরি থাকার চেষ্টা করব। প্রতিটি ম্যাচই আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি অবশ্যই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এটি সব সময় স্বপ্ন দেখি। ২০১৫ বিশ্বকাপের মাঝ পথে যখন চোটে পড়ে মাঠের বাইরে চলে গেলাম. তখন থেকেই আমি স্বপ্ন দেখি ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলব। আমার প্রতিটি চেষ্টাতে. প্রতিটি নেট কিংবা জিম সেশনে চিন্তা করি যে ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলব। যতটা প্রস্তুত হওয়া দরকার এবং যতটুকু ভালো করা দরকার চেষ্টা করব।’ | 1,572,830 |
2019-01-01 | সেই শিশুটিকে দেখে ঢাকায় ফিরলেন মাশরাফি | null | নড়াইল প্রতিনিধি | ৩৩ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572825/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF | bangladesh | online | 2 | রাজনীতি|মাশরাফি বিন মুর্তজা|একাদশ সংসদ নির্বাচন | সেই শিশুটিকে দেখেই ঢাকায় ফিরলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদের সদ্য নির্বাচিত সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।শিশুটির বাবা নির্বাচনের সময় মাশরাফির ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে. ২৭ ডিসেম্বর মনিরুজ্জামান হঠাৎ করেই হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। মৃত্যুর সময় তাঁর স্ত্রী সন্তান জন্ম দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সন্তানের মুখ না দেখেই চলে যেতে হয়েছে তাঁকে।নির্বাচনের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মনিরুজ্জামানের স্ত্রী। মাশরাফি সেদিন যেতে না পারলেও পাঠিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সুমনা হক সুমিকে। তাঁর হাত দিয়ে পাঠিয়েছিলেন আর্থিক সহায়তা। গতকাল সোমবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে হাসপাতালে গিয়ে মনিরুজ্জামানের কন্যা শিশুকে দেখতে যান মাশরাফি। কোলে তুলে আদর করেন। স্মরণ করেন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে। | 1,572,825 |
2019-01-01 | মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে যুবক শ্রীঘরে! | null | প্রতিনিধি. কসবা. ব্রাহ্মণবাড়িয়া | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572824/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87 | bangladesh | online | 2 | অপরাধ|কুমিল্লা | কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় আবদুল হাকিম (২১) নামের এক যুবককে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী হাকিম ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া ছিদ্দিকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে. উপজেলার এক মাদ্রাসাছাত্রীকে চার মাস ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন আবদুল হাকিম (২১)। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন আবদুল হাকিম। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়েও কোনো বিচার পাননি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই যুবক মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মেয়েটির মা ও পরিবারের লোকজন তা প্রত্যাখ্যান করলে ওই যুবক অ্যাসিড ছোড়ার হুমকি দেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ আবদুল হাকিমকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই যুবককে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া ছিদ্দিকা প্রথম আলোকে বলেন. ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করায় ওই যুবককে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। | 1,572,824 |
2019-01-01 | মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572823/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8 | bangladesh | online | 2 | রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|রাশেদ খান মেনন|বিএনপি|জামায়াত | সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন. জামায়াতকে ধানের শীষ দেওয়ার পরও শেষ রক্ষা হলো না বিএনপির। নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হলো। আসলে জনগণ এই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিএনপি ও জামায়াত উভয়কেই প্রত্যাখ্যান করেছে। মেনন বলেন. বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের আঁচল থেকে বের হতে না পারলে তারা আর কখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষক. ছাত্র ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন. বিএনপি ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পর্কে আবারও তাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তারা সারা দিন বলেছে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে.আর সন্ধ্যায় গিয়ে বলছে ফলাফল মানি না। তারা যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে এটা তারই প্রমাণ। উলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল হোসেন. সদস্য তৌহিদুল ইসলামসহ গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষকেরা। | 1,572,823 |
2019-01-01 | শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মৃণাল সেনকে বিদায় | null | প্রতিনিধি. কলকাতা | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572829/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F | entertainment | online | 2 | চলচ্চিত্র | শেষ হয়ে গেল বাংলা চলচ্চিত্রের একটি স্বর্ণযুগের। যে যুগের কান্ডারি ছিলেন সত্যজিৎ রায়. ঋত্বিক ঘটক আর মৃণাল সেন। সেই বিশ্ববরেণ্য চিত্রপরিচালক মৃণাল সেন আজ মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে অগ্নিতে বিলীন হয়ে গেলেন। মরদেহ নিয়ে শোক মিছিলের পর এই মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় এই প্রথিতযশা পরিচালক কলকাতার ভবানীপুরের নিজ বাসভবনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মৃণাল সেনের একমাত্র ছেলে কুণাল সেনের আসার জন্য তাঁর মরদেহ কলকাতার হিমঘর পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হয়। গতকাল সোমবার কুণাল সেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে কলকাতায় আসার পর আজ মৃণাল সেনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আজ বেলা আড়াইটায় পিস ওয়ার্ল্ড থেকে তাঁর মরদেহ সবার শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের কাছে মতিলাল নেহরু রোডে তাঁর সাবেক বাসভবনের সামনে আনা হয়। এই বাড়িতে জীবনের ১২টি বছর কাটিয়েছেন তিনি। এখান থেকেই তাঁর চলচ্চিত্রে উত্থান ঘটে। পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী এখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরদেহ রাখা হয়। তারপর এখান থেকে শোক মিছিল করে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। মতিলাল নেহরু রোডের বাসভবনের সামনে রাখা মৃণাল সেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ছুটে আসেন কলকাতা ছবিপাড়ার শিল্পী. কলাকুশলীসহ সাহিত্য. সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। সবাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মরদেহের কাছে উপস্থিত ছিলেন কুণাল সেন। মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কবি শঙ্খ ঘোষ. চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদার. সন্দীপ রায়. অঞ্জন দত্ত. অশোক বিশ্বনাথন. অপর্ণা সেন. ত্রিদিব মুখোপাধ্যায়. সৃজিত মুখোপাধ্যায়. অনীক দত্ত. সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র. অভিনেতা প্রসেনজিৎ. কৌশিক সেন. রঞ্জিত মল্লিক. মমতা শংকর. শ্রীলা মজুমদার. মাধবী মুখোপাধ্যায়. বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়সহ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিমান বসু. সুজন চক্রবর্তী. বিকাশ ভট্টাচার্য. শ্যামল চক্রবর্তীসহ কলকাতার টলিউড এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। সবাই মৃণাল সেনের চলচ্চিত্র অঙ্গনে অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। বলেন. বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনের শেষ মহিরুহের পতন হয়ে গেল। শেষ হয়ে গেল সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল যুগের। সত্যজিৎ রায়ের ছেলে পরিচালক সন্দীপ রায় দাবি করে বলেন. ‘সংরক্ষণ করা হোক মৃণাল সেনের ছবিগুলো।’ নন্দিতা দাস বলেন. ‘তিনি ছিলেন আমার শিক্ষক এবং অভিভাবক। তিনি চলে যাওয়ায় আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’ অপর্ণা সেন বলেন. ‘তিনি ছিলেন আমার বাবার মতো। আর ফিরে পাব না তাঁকে।’ প্রসেনজিৎ বলেছেন. ‘মৃণাল সেনের তুলনা নেই। তিনিই আমাদের চলচ্চিত্রের পথপ্রদর্শক। বাংলা চলচ্চিত্র হারাল এক গুণী শিক্ষককে।’ মৃণাল সেনের শেষ ইচ্ছে ছিল. তাঁর মরদেহে কেউ যেন ফুল আর মালা দিয়ে শ্রদ্ধা না জানায়। তাই পরিবার থেকে অনুরোধ করা হয়েছে. কেউ যেন ফুল আর মালা নিয়ে মৃণাল সেনকে শেষ শ্রদ্ধা না জানান। এই শোকযাত্রায় কারও হাতেই ছিল না ফুল আর মালা। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর ভবানীপুরের নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন মৃণাল সেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তাঁর জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরে। মৃত্যুর পর বিকেলেই তাঁর মরদেহ ছেলের ফিরে আসার অপেক্ষায় রাখা হয় কলকাতার হিমঘর পিস ওয়ার্ল্ডে। ৫ জানুয়ারি কলকাতার গোর্কি সদনে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরে ১৯২৩ সালের ১৪ মে জন্ম মৃণাল সেনের। | 1,572,829 |
2019-01-01 | ‘কলঙ্কিনী’র পর মুখে কুলুপ! | null | বিনোদন ডেস্ক | ১ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572821/%E2%80%98%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E2%80%99%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%AA | entertainment | online | 2 | টেলিভিশন | ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ সিরিয়ালের ‘রাণী রাসমণি’ দিতিপ্রিয়া রায় তাঁর মুখে কুলুপ এঁটেছেন। একের পর এক ট্রলের শিকার হচ্ছেন। যা-ই বলছেন. তা নিয়েই একটি মহল সমালোচনা শুরু করে। এই যেমন গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার অমরাবতী ময়দানে ‘পাণিহাটি উৎসব ও বইমেলা’র মঞ্চে দর্শকদের অনুরোধ রক্ষা করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। রাধারমণ দত্তের ‘কলঙ্কিনী রাধা’ আর প্রচলিত লোকগান ‘পিন্দারে পলাশের বন’ গেয়ে শোনান তিনি। দুটি গানই গেয়েছেন প্রায় বেসুরো। গান গাইতে গিয়ে সুর. তাল. লয় থেকে সরে যান তিনি। মুহূর্তেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সরগরম হয় নেটপাড়া। সমালোচনার মুখে পড়েন দিতিপ্রিয়া। শুরু হয় ট্রল। জনপ্রিয় এই তারকার বিরুদ্ধে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’তে দিতিপ্রিয়া রায়ের সংলাপ. ‘বাবা. তুমি এয়েচো’ আর ‘বাবা. তুমি খেয়েচো’ নিয়ে মিম ও ট্রলে ছেয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তখন সংবাদমাধ্যমকে দিতিপ্রিয়া রায় বলেছিলেন. তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন। তবে পাশাপাশি নিন্দুকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দিতিপ্রিয়া রায় বলেছেন. ‘এভাবে ট্রলিং চলতে থাকলে আমি একদিন সারা ভারতে বিখ্যাত হয়ে যাব! এটা তো প্রথম নয়; এর আগেও সিরিয়ালের সংলাপ নিয়ে একাধিকবার আমাকে ট্রল করা হয়েছে। অনেক দিন সেটা বন্ধ ছিল। আমাকে যাঁরা পছন্দ করেন না. তাঁরা একটা সুযোগ খুঁজছিলেন। এবার তা হাতে পেয়ে আবার ট্রলিং শুরু হয়েছে।’ তবে জানা গেছে. তাঁকে এবার ‘কথা’ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এসব নিয়ে খোঁচাখুঁচি করতে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের যেন বারোটা না বাজে. সেদিকে খেয়াল রাখতে তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে নতুন বছরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেননি। ইনস্টাগ্রামে নিজের নতুন একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন. ‘খারাপ স্মৃতিকে তাড়িয়ে. ২০১৮ সালের সুন্দর স্মৃতিগুলো মনে রাখতে চাই৷’ গত সপ্তাহের দর্শক জরিপ অনুযায়ী ভারতের বাংলা চ্যানেলগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ সিরিয়াল। আর জনপ্রিয় ‘রাণী রাসমণি’ দিতিপ্রিয়া রায়। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে সম্প্রতি পাঠভবনে ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হয়েছেন। এই বয়সে দিতিপ্রিয়া রায়ের এতটা জনপ্রিয়তা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই সুযোগ পেলেই এই নায়িকার সমালোচনায় মেতে ওঠেন তাঁরা। | 1,572,821 |
2019-01-01 | টাঙ্গাইলে সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রী খুন | null | প্রতিনিধি. সখীপুর. টাঙ্গাইল | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572822/%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8 | bangladesh | online | 2 | অপরাধ|টাঙ্গাইল|হত্যাকাণ্ড | টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক সৌদিপ্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে. নিহত নারীর নাম মনোয়ারা বেগম (৩৫)। তিনি বাসাইল উপজেলার নথখোলা গ্রামের প্রবাসী ধলা খানের স্ত্রী। তাঁর স্বামী ও ছেলে আল-আমিন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকায় বাড়িতে মনোয়ারা একাই থাকতেন। বাসাইল থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে. গত সোমবার রাতে মনোয়ারা বেগম অন্যদিনের মতো নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অনেক ডাকাডাকি করেও ঘুম থেকে না উঠলে প্রতিবেশীরা ওই ঘরে ঢুকে তাঁর গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মনোয়ারার ভাইয়ের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে খুনের মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম তুহিন আলী প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন. আজকালের মধ্যেই খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। | 1,572,822 |
2019-01-01 | প্রধানমন্ত্রী চাইলে মন্ত্রিসভায় যেতে চান মুহিত | null | বাসস. ঢাকা | ৫৬ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572820/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4 | bangladesh | online | 2 | অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত|প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা|একাদশ সংসদ নির্বাচন | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আহ্বান জানালে সাড়া দেবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী বলেন. দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন সরকারকে দুর্নীতি বন্ধে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন. নতুন সরকারকে দুর্নীতি দমনের মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্ব দিতে হবে। মুহিত বলেন. ‘অতীতের মতো আওয়ামী লীগ সরকারকে দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিগত ১০ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছি। আমরা নতুন মেয়াদে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই।’ অর্থমন্ত্রী অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন. প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আহ্বান জানালে তিনি সাড়া দেবেন। কেননা তিনি সব সময় প্রধানমন্ত্রীকে মান্য করে চলেন। তিনি বলেন. ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জনগণ শেখ হাসিনার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তারা জানে শেখ হাসিনা ছাড়া দেশের উন্নয়ন হবে না।’ | 1,572,820 |
2019-01-01 | দেশে আজ জন্ম নেবে ৮ হাজারের বেশি শিশু | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ১ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572818/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A7%AE-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81 | bangladesh | online | 2 | স্বাস্থ্য|পরিবেশ|জনসংখ্যা|জাতিসংঘ|ইউনিসেফ | দেশে আজ মঙ্গলবার নতুন বছরের প্রথম দিনে বাংলাদেশে আট হাজার চার শ'র বেশি শিশু জন্ম গ্রহণ করবে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের তথ্য তাই বলছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ইউনিসেফ বলছে. আজকের দিনে বিশ্বজুড়ে জন্ম গ্রহণ করবে আনুমানিক মোট তিন লাখ ৯৫ হাজার ৭২ নবজাতক. যার ২ দশমিক ১৩ শতাংশ জন্মাবে বাংলাদেশে। আজ ইউনিসেফের নিউইয়র্ক কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা (২০১৭). ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাব. জাতিসংঘের উপাত্ত. যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সেবা ও বেশ কয়েকটি দেশের জাতীয় পরিসংখ্যানসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে নবজাতক জন্মের এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। বৈশ্বিক ভাবে বছরের প্রথম দিনে যত নবজাতকের জন্ম হবে তার প্রায় অর্ধেকের বেশির জন্ম হবে ভারত. চীন. নাইজেরিয়া. পাকিস্তান. ইন্দোনেশিয়া. যুক্তরাষ্ট্র. কঙ্গো এবং বাংলাদেশ অর্থাৎ এ আটটি দেশে। নতুন বছরের প্রথম দিনে বিশ্বে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের এক-চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। ইউনিসেফ বলছে. বিশ্ব জুড়ে শহর গুলোতে উৎসব মুখর মানুষ নানা আয়োজনে শুধু নতুন বছরকেই স্বাগত জানাবে না. একই সঙ্গে পরিবারের নতুন ও সবচেয়ে ছোট বাসিন্দাকেও স্বাগত জানাবে। ঘড়ির কাঁটা যখন মধ্য রাত্রি নির্দেশ করবে তখন সিডনিতে আনুমানিক ১৬৮. টোকিওতে ৩১০. বেইজিংয়ে ৬০৫. মাদ্রিদে ১৬৬ ও নিউইয়র্কে ৩১৭ নবজাতক জন্ম গ্রহণ করবে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে খুব সম্ভবত ২০১৯ সালের প্রথম নবজাতকের জন্ম হবে এবং ওই দিনের শেষ নবজাতকের জন্ম হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ইউনিসেফ আনন্দের সংবাদ দেওয়ার পাশাপাশি মন খারাপের তথ্যও দিয়েছে। তথ্য বলছে. নবজাতককে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশে অনেক নবজাতকের নাম রাখাও সম্ভব হবে না। কেননা তাদের জীবনের প্রথম দিনটি পার করার আগেই তারা মারা যাবে। ২০১৭ সালে প্রায় ১০ লাখ নবজাতক তাদের জন্মের প্রথম দিনেই এবং প্রায় ২৫ লাখ তাদের জীবনের প্রথম মাসেই মৃত্যুবরণ করে। এদের বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয় অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ. প্রসবকালীন জটিলতা এবং দূষণ ও নিউমোনিয়ার সংক্রমণের মতো প্রতিরোধযোগ্য কারণে। এটা তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। চলতি বছরে শিশু অধিকার বিষয়ক সনদ গ্রহণের ৩০ বছর পূর্তি হবে. যা এই বছর জুড়ে বিশ্বব্যাপী উদ্যাপন করবে ইউনিসেফ। এই সনদের আওতায় সরকারগুলো আরও অনেক কিছুর পাশাপাশি মানসম্মত উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। | 1,572,818 |
2019-01-01 | টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে পর্যটক পরিবহন শুরু | null | প্রতিনিধি. টেকনাফ. কক্সবাজার | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572817/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AB-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9F%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81 | bangladesh | online | 2 | কক্সবাজার|টেকনাফ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|সেন্টমার্টিন | একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্রে করে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চার দিন বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার থেকে চলাচল শুরু হয়েছে। সকালে কেয়ারি ক্রুস অ্যান্ড ডাইন নামে একটি পর্যটকবাহী জাহাজে করে ১৬৬ পর্যটক সেন্ট মার্টিন গেছেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন. সংসদ নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত শুক্রবার থেকে সোমবার বিকেল (২৮-৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এ নৌপথে পর্যটক পরিবহনের ওপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার আদেশ ছিল। দেশি-বিদেশি পর্যটকের কথা বিবেচনা করে মঙ্গলবার সকাল থেকে এ নৌপথে জাহাজ চলাচলে আর কোনো ধরনের বাধা নেই। কেয়ারি ক্রুস অ্যান্ড ডাইন জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন. চার দিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মঙ্গলবার সকালে ১৬৬ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন গেছে জাহাজটি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন. গত বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে এ নৌপথে প্রথমে দুটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করে। এরপর পর্যায়ক্রমে কেয়ারি সিন্দাবাদ. কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন. বে-ক্রুস. এলসিটি কাজল. এমভি ফারহান ক্রুজ ও গ্রিন লাইন-১ নামে ছয়টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চার দিন বন্ধের পর আবার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন. গত ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। মূলত সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চার দিন শেষে পুনরায় মঙ্গলবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন. ধারণক্ষমতার বেশি পর্যটক পরিবহন না করার পাশাপাশি পর্যটকেরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি শিকার না হন. সেদিকে খেয়াল রাখতে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | 1,572,817 |
2019-01-01 | সাব্বির প্রতিজ্ঞা করছেন... | null | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ৭ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572819/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8 | sports | online | 2 | ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|সাব্বির রহমান | আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা এখনো ওঠেনি। ২০১৮ সালটা তাঁর কেটেছে বিতর্কে। নতুন বছরের প্রথম দিনে সাব্বিরকে তাই দিতে হলো কঠিন কঠিন সব প্রশ্নের উত্তর। বিতর্কে পেছনে রেখে তিনি এখন তাকাতে চান সামনে। বছরের প্রথম দিনেই কঠিন এক পরীক্ষা দিতে হলো সাব্বির রহমানকে। সে পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে যে উত্তীর্ণ হয়েছেন. তা নয়। বরং একটা পর্যায়ে গিয়ে অসহায় আত্মসমর্পণই করতে হয়েছে তাঁকে। বিপিএল শুরু হচ্ছে ৫ জানুয়ারি থেকে। ছুটি শেষে দলগুলো শুরু করেছে অনুশীলন। ঝালিয়ে নিতে শুরু করেছে সিলেট সিক্সার্সও। সিলেটের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন সাব্বির। কঠিন কঠিন সব প্রশ্ন ছুটে গেল তাঁর দিকে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুটা সহজ কিছু প্রশ্ন দিয়ে। গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিসিবি। আর এক মাস পরই শেষ হবে সেটি। নিষেধাজ্ঞার খড়্গ সরে গেলেই সাব্বির পারবেন জাতীয় দলে চোখ রাখতে। আর এখন জাতীয় দলের প্রসঙ্গ মানেই অবধারিত চলে আসবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ দলে আদৌ জায়গা হবে কি না. সেটি অবশ্য সাব্বির এখনই ভাবতে চান না. ‘জাতীয় দলের দরজা সবার জন্যই খোলা আছে। বিপিএলটা আমার জন্য অনেক বড় মঞ্চ। আমার কাছে অনেক বড় টুর্নামেন্ট। আমি চেষ্টা করব আমার স্বাভাবিক ক্রিকেটটা খেলতে। বিশ্বকাপ অনেক দূরে আছে এখনো। আপাতত বিপিএল নিয়ে চিন্তা করছি।’ তবে তাঁর আত্মবিশ্বাস. বিপিএলে যদি ভালো করতে পারেন. হারানো জায়গা ফিরে পাবেন আবার. ‘যদি বিপিএলে ভালো করি সুযোগ থাকবে আমার। চেষ্টা করব বিপিএলে ভালো কিছু করার। তারপর বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটা আসবে।’ হারানো জায়গা ফিরে পাওয়া না-পাওয়ার প্রশ্নটা সাব্বিরকে শুনতে হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। বিতর্ক যে তাঁর পিছু ছাড়ে না. ২০১৮ সালটা হয়ে আছে বিতর্কময়! কখনো বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনেছেন. নিষিদ্ধ হয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে. কখনোবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। নিষিদ্ধ হওয়াটা কতটা কষ্টের সাব্বিরের চেয়ে ভালো বুঝবে কে. ‘অনেক কঠিন. বিশেষ করে মানসিকভাবে। এই সময়ে এনসিএল খেলেছি. বিসিএল খেলেছি। অনুশীলন করেছি নিজের উদ্যোগে। বাসায় ছিলাম পরিবারের সঙ্গে। প্রায় (নিষেধাজ্ঞার) পাঁচ মাস হয়ে গেছে. আর এক মাস বাকি আছে। দেখি এবার বিপিএলটা কী হয়।’ তাঁর আশা বিতর্কিত ঘটনা প্রভাব পড়বে না মাঠের পারফরম্যান্সে. ‘তেমন প্রভাব পড়েছে বলে মনে হয় না। আপনি চাইলেই সেঞ্চুরি করবেন এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমি চেষ্টা করেছি নিজের প্রস্তুতি ঠিকমতো নিতে।’ কিন্তু বারবার বিতর্কে জড়াচ্ছেন. নিষিদ্ধ হচ্ছেন. এ থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছেন সাব্বির? কঠিন প্রশ্নটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে সামলানোর চেষ্টা তাঁর. ‘কাল রাতে প্রতিজ্ঞা করেছি. ২০১৮ আমার অনেক খারাপ কেটেছে। ভুলে গেছি। আজ নতুন বছরের প্রথম দিন. সামনে তাকিয়ে আছি এখন।’ বারবার একই ভুল ক্যারিয়ারের জন্য কতটা হুমকি? কী আত্মোপলব্ধি তাঁর. প্রশ্নকর্তার দিকে একবার তাকিয়ে শুধু এতটুকুই বললেন. ‘হুম. আসলেই ভাই। অনেক বড় হুমকি।’ ডেভিড ওয়ার্নার আসছেন সিলেটের হয়ে বিপিএল খেলতে। অস্ট্রেলীয় তারকার সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে দেবে বলেই মনে করেন সাব্বির. ‘অবশ্যই তিনি অনেক ভালো খেলোয়াড়। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক। অবশ্যই তাঁর দলে থাকাটা ভালো একটা দিক। তাঁর মতো বড় খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন. আমরা যদি তাঁকে অনুসরণ করি. আমরা যদি বাকি ১০ জন সমর্থন দিতে পারি. তাহলে ভালো কিছু হবে।’ ওয়ার্নারের সঙ্গে একটা জায়গায় মিল আছে সাব্বিরের. দুজনই আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ। অতীতে ওয়ার্নার বিতর্ক পেরিয়ে ভালোভাবে ফিরে এসেছেন। সাব্বির পারবেন? প্রশ্নটা যেন ভয়ংকর বাউন্সার হয়ে ধেয়ে গেল সাব্বিরের দিকে। হুক. পুল নয়; বেশ বিব্রত তিনি. প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে ওখানেই সমাপ্তি তাঁর সংবাদ সম্মেলনের। | 1,572,819 |
2019-01-01 | অস্ট্রেলিয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কারের সময় একজন নিহত | null | কাউসার খান. সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) | null | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572814/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4 | durporobash | online | 2 | null | অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতা বা সন্ত্রাসী হামলা নয়. আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করার সময় গুলি বের হয়ে লাগে ২৩ বছর বয়সী একজনের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান তিনি। মালিক নিজেই তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় এ ঘটনা ঘটে। গত বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজ্যের বান্ডেলা শহরের কোমো কোমো এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক সিডনির বাসিন্দা ৪১ বয়সী একজনকে অনিচ্ছাকৃত হত্যার দায়ে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ও দোষী ব্যক্তি একে অপরের পরিচিত এবং সিডনি থেকে একসঙ্গেই ওই এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনাস্থলে দ্রুত জরুরি সেবা পৌঁছায়। তবে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে গুরুতর আহত ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনার সময় আটক ও নিহত ব্যক্তির সঙ্গীসহ আরও প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ ও তদন্তকারী দল ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ একটি অনিচ্ছাকৃত হত্যা মামলা দায়ের করেছে। গত শুক্রবার আদালতে আটককৃত ব্যক্তির জামিন চাওয়া হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে। তাঁকে বর্তমানে ট্যামওর্থ থানা হাজতে রাখা হয়েছে। | 1,572,814 |
2019-01-01 | রোনালদোর সম্পত্তিটা এবার নিচ্ছেন কে? | null | পবিত্র সিংহ | null | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572813/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%87 | sports | online | 2 | নেইমার|ফুটবল|মেসি|ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো | জুভেন্টাসে মানিয়ে নিতে একটু সময় নিয়েছেন রোনালদো। লিগে নিয়মিত গোল পেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫ ম্যাচে মাত্র এক গোল করেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। ফলে ২০১১-১২ মৌসুমের পর এই প্রথম অন্য কারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা গোলদাতা হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কারটা গত কয়েক বছর ধরেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সম্পত্তি। ‘কয়েক’ শব্দটাতে অনিশ্চয়তার ছাপ থাকলে সেটাও দূর করে দেওয়া যাক। গত ছয় মৌসুম ধরেই চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড। কোনো মৌসুমে শুরুতেই দৌড় শুরু করেন. কোনো মৌসুমে শেষে এসে ফল পেড়ে নেন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে থাকা করার কিছু থাকে না। নয় মৌসুম পর নতুন দলে এসেছেন রোনালদো। জুভেন্টাসের রোনালদো এখনো গোলবন্যা শুরু করেননি চ্যাম্পিয়নস লিগে। এরই সুযোগ নিতে পারেন অন্যরা। জুভেন্টাসে মানিয়ে নিতে একটু সময় নিয়েছেন রোনালদো। লিগে নিয়মিত গোল পেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫ ম্যাচে মাত্র এক গোল করেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। ফলে ২০১১-১২ মৌসুমের পর এই প্রথম অন্য কারও চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা গোলদাতা হওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে। দেখে নেওয়া যাক. তাঁরা কারা— রবার্ট লেভানডফস্কি (৮ গোল) মৌসুমের শুরুতে বায়ার্ন মিউনিখের খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছিলনা। কিন্তু সে দুঃসময়ও এই পোলিশ ফরোয়ার্ডকে গোল করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। নিয়মিতই গোল করে চলেছেন। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে. এই স্ট্রাইকারের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ভর করে বায়ার্ন মিউনিখ গ্রুপ ‘ই’তে শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোতে উঠেছে। ইউরোপের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার বাভারিয়ানদের হয়ে এরই মাঝে ৮ গোল করে ফেলেছেন। তাঁর জন্য সুখবর. দলও ফর্মে ফিরে এসেছে। ফলে শেষ ষোলোতে গোল করার সুযোগ বাড়ছে। তবে গত চার মৌসুমে দ্বিতীয় পর্বে তা৬র গোল সংখ্যা একটু দুশ্চিন্তার ব্যাপার। লিওনেল মেসি (৬ গোল) সত্যি বলতে রোনালদোকে শীর্ষ গোলদাতা হওয়া থেকে যদি কেউ আটকাতে পারেন তবে সেটা মেসিই। গত ১০ বছরে যে চার বছরে রোনালদো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা ছিলেন না. সে চারবারই শীর্ষ গোলদাতা ছিলেন মেসি। ২০১৪/১৫ মৌসুমে তো নেইমার. মেসি ও রোনালদো তিনজনই হয়েছিলেন সেরা। গত তিন বছর ধরে রোনালদো একাই অলিখিত সোনার জুতা পরায় মেসি এবার উঠে পড়ে লেগেছেন রোনালদোর প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য। এবারের মেসি ফিরেছেন তার পুরোনো রূপে। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতিমধ্যে ৬ গোল করে আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে। এডেন জেকো (৫ গোল) এএস রোমার হয়ে গত মৌসুমে চ্যাম্পইয়নস লিগের শেষ দিকে দুর্দান্ত খেলেছেন জেকো। এ মৌসুমেও দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই বসনিয়ান স্ট্রাইকার। গত চ্যাম্পিয়নস লিগে ১২ ম্যাচে ৮ গোল করে রোমাকে সেমিফাইনালে নিয়ে গেছেন। এবার সে ধারাবাহিকতায় এ মৌসুমেও লিগে ৪ ম্যাচে ৫ গোল করে রয়েছেন তালিকার তৃতীয় অবস্থানে। ডি-বক্সে ভয়ংকর এই স্ট্রাইকার গত মৌসুমে দ্বিতীয় পর্বে ৫ গোল করেছিলেন। সে ফর্ম ধরে রাখতে পারলে শীর্ষ গোলদাতা হতেই পারেন পাউলো দিবালা (৫ গোল) মেসি-রোনালদোর উত্তরসূরি হিসেবে নেইমারের সঙ্গে তাঁর নামই বলা হতো দুই মৌসুম আগে। কেউ আবার তাঁকে আর্জেন্টিনার পরবর্তী মহাতারকা মানতে শুরু করেছেন. নতুন মেসি ট্যাগও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিজেকে শুধুই দিবালা প্রমাণ করতে চাওয়া দিবালা মাঝে কিছুদিন ফর্ম হারিয়ে ফেলেছিলেন। এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর গোল খরা ঠিকই কাতয়ে দিয়েছেন। মাত্র ২৫৮ মিনিট খেলেই এরই মাঝে ৫ গোল করেছেন। রোনালদোকে সঙ্গী পেয়ে এবার না গোল্ডেন বুটের রেসে তাঁকেই হারিয়ে দেন দিবালা। নেইমার (৫ গোল) নিঃসন্দেহে এই সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নেইমার জুনিয়র। তাঁর অসাধারণ ড্রিবলিং স্কিল এবং গতি নিয়ে কারও মনেই কখনো সন্দেহ নেই। প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করার সামর্থ্য আর গোল স্কোরিং ক্ষমতার জন্যই তো ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে বাধেনি পিএসজির। গত মৌসুমে গ্রুপ পর্বে ৬ গোল করা নেইমার এবারও ভালো ফর্মে আছেন। এবার তুলনামূলক অনেক কঠিন গ্রুপে (লিভারপুল. নাপোলি) থেকেও ৫ গোল করেছেন। ২০১৪/১৫ মৌসুমের দ্বিতীয় পর্বের ফর্ম টেনে আনতে পারলে সেরা গোলদাতাও হয়ে যেতে পারবেন। তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ২০১৬/১৭ মৌসুমেও গ্রুপ পর্বে মাত্র ১ গোল করেছিলেন রোনালদো। আর মেসি করেছিলেন ১০ গোল। সেবার দ্বিতীয় প্ররবে ১০ গোল করে ঠিকই মেসিকে টপকে গিয়েছিলেন রোনালদো. দলকেও এনে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। এবারও তেমন কিছু হোক সেটাই চাইছেন জুভেন্টাস সমর্থকেরা। কে হবেন সেরা গোলদাতা? খেলোয়াড় এ মৌসুমে গোল দ্বিতীয় পর্বে গোল (গত ৪ মৌসুমে) লেভানডফস্কি ৮ ৯ মেসি ৬ ৯ জেকো ৫ ৫ দিবালা ৫ ৫ নেইমার ৫ ১০ রোনালদো ১ ২৬ | 1,572,813 |
2019-01-01 | ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. খুলনা | ৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572816/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 2 | আইন ও বিচার|ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন|সাংবাদিক|একাদশ সংসদ নির্বাচন | খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক মো. হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বটিয়াঘাটা থানা এলাকার গল্লামারী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। হেদায়েত হোসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। খুলনা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত ছিলেন তিনি। আজই তাঁদের কমিটি নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। দুপুরে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন. সোমবার রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় হেদায়েতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী মোবাইলে প্রথম আলোকে বলেন. ‘নির্বাচনের লিখিত ফলাফলের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করায় রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে ওই মামলা করা হয়েছে।’ | 1,572,816 |
2019-01-01 | সুনামগঞ্জে জামানত গেল ২২ প্রার্থীর | null | খলিল রহমান. সুনামগঞ্জ | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572812/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 2 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|বিএনপি|সুনামগঞ্জ | সুনামগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনেই মহাজোটের বর্তমান সাংসদেরা আবার জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জয় হয়েছে। জেলার পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ৩২ প্রার্থী মধ্যে ২২জন প্রার্থী নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে. কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেলে ওই প্রার্থী জামানত ফেরত পাবেন। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনে জামানত হারিয়েছেন ২২জন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বিএনপির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর. জামালগঞ্জ. ধরমপাশা) আসনে মোট ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯০৮টি। জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৬৪ হাজার ২৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজির হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯১৫ ভোট। এখানে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিনজনের। এরা হলেন জাকের পার্টির আমান উল্লাহ আমান. তিনি পেয়েছেন ৪৪৩ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের ফখর উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩০ ভোট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বদরুদ্দোজা সুজা পেয়েছেন ১৮৫ ভোট। সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ২১৫টি। এ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ জয়া সেনগুপ্তা। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২৪ হাজার ১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাছির উদ্দিন চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৮৭ ভোট। এখানে জামানত হারিয়েছেন চারজন। এঁদের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টির গোলজার আহমদ পেয়েছেন ২০৮ ভোট. কমিউনিস্ট পার্টির নিরঞ্জন দাস ৩৩৩ ভোট. বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মাহমুদ হাসান চৌধুরী ৮৭ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলনের আবদুল হাই ৩৫৫ ভোট। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর. দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৬৬৭টি। এই আসনে জয়ী হয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ১৪৯ ভোট । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা শাহীনুর পাশা চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৫ ভোট। এখানে জামানত হারিয়েছেন চারজন। এঁদের মধ্যে এলডিপির মাহফুজুর রহমান খালেদ পেয়েছেন ৫১৩ ভোট. ইসলামী আন্দোলনের মহিবুল হক আজাদ ৩২৮ ভোট. জাকের পার্টির শাহজাহান চৌধুরী ১২৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সৈয়দ মুবশ্বির আলী ৫১ ভোট। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ১৩ হাজার ৯০৪ টি। এখানে জয়ী হয়েছেন মহাজোটর প্রার্থী সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ; লাঙল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ২৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ ফজলুল হক আছপিয়া ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। এই আসনে জামানত হারিয়েছেন পাঁচজন। এঁদের মধ্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আল হেলাল পেয়েছেন ১১৫ ভোট. ইসলামী আন্দোলনের তানভীর আহমদ তাছলিম এক হাজার ৫২৯ ভোট. খেলাফত মজলিসের মুফতি আজিজুল হক এক হাজার ৪১৬. এনপিপির মোহাম্মদ দিলোয়ার ৪৫৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান ৩৬৫ ভোট। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) মোট ভোট পড়েছে তিন লাখ ১৮ হাজার ৯৫৮টি। এই আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক; নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৩২৮ ভোট। তাঁর নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪২ ভোট। এই আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ছয় প্রার্থীর। এঁদের মধ্যে গণফোরামের আইয়ুব করম আলী পেয়েছেন ৬৪৬ ভোট. খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ সফিক উদ্দিন ২০৬ ভোট. ন্যাপের মো. আবদুল ওদুদ ৬৩৫ ভোট. বিএনএফের মো. আশরাফ হোসেন ৮১ ভোট. জাতীয় পার্টির নাজমুল হুদা ৫৫১ ভোট. ইসলামী আন্দোলনের হুসাইন আল হারুন ৭৩৩ ভোট। | 1,572,812 |
2019-01-01 | টিয়ে রাজকন্যার আখ্যান-নয় | ধারাবাহিক উপন্যাস: জোড়া সিঁথি নদীর তীরে-পর্ব নয় | মহিবুল আলম | ১ | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572811/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%9F | durporobash | online | 2 | null | বিকেলের নিস্তব্ধতা চারদিকে। ম্যাপল ও ওক গাছের ফাঁক গলে পড়ন্ত বিকেলের রোদ পড়ছে কেমন তেরসা ও ফালি ফালি হয়ে। দক্ষিণের মৃদুমন্দ বাতাস বইছে হিন হিন. হিন হিন। বাতাসে নদীর কপালের কাছের খোলা চুলগুলো উড়ছে কেমন ধোঁয়ার ঢেউ খেলে। যেন সরু সরু ধোঁয়া। রাকিবের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না. নদী এত সুন্দর করে সাজতে পারে। রাকিব শুধু একদিন বলেছিল. তার টিয়ে রঙের সবুজ শাড়ি আর খয়েরি রঙের লিপস্টিক পছন্দ। এতেই নদী তার জন্য এমন করে সেজে আসবে. এটা সে এভাবে ভাবতে পারেনি। এখনো রাকিব কিছুক্ষণ পরপর মুগ্ধ হয়ে নদীর দিকে তাকাচ্ছে। ওদের দুজনের হাতেই কফির কাপ। বসন্তের পড়ন্ত বিকেল বলে একটু একটু ঠান্ডা পড়ছে। তাদের কাপের গরম কফি থেকে সরু সরু ধোঁয়া উঠছে সেই হিন হিন বাতাস ও পড়ন্ত বিকেলের মৃদু ঠান্ডাকে ভেদ করে। ওরা থেমে থেমে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছে। ওরা ব্যালকনিতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। নদী কিছুটা অন্যমনস্ক। কিছু একটা ভাবছে। কফির কাপেও নদী চুমুক দিচ্ছে একটু অন্যমনস্কভাবে। রাকিব ডাকল. নদী। নদী বলল. জি। : তুমি কী ভাবছ? : নাহ. তেমন কিছু ভাবছি না। : তুমি কিছু একটা যে ভাবছ তা আমি বুঝতে পারছি। নদী হেসে ফেলল। বলল. আসলেই আমি কিছু একটা ভাবছি। রাকিব জিজ্ঞেস করল. কী সেটা? : আমি মার কথা ভাবছি। মা কলেজ থেকে ফিরলে আর আমি বুয়েট থেকে ক্লাস করে এলে মা ও আমি আমাদের বাসার জানালার দাঁড়িয়ে বিকেলের চা খেতাম। মা কলেজের গল্প করতেন। আমি আমার ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের গল্প করতাম। মাঝেমধ্যে মা গান গাইতেন। নিজের কবিতা আবৃত্তি করতেন। আমি শুনতাম। আমার গানের গলা ভালো না তো. তাই মাঝেমধ্যে ফ্যাসফেসে গলায় মার কবিতা আবৃত্তি করতাম। কিন্তু মা আমার ফ্যাসফেসে গলার কবিতা আবৃত্তি খুব মুগ্ধ হয়ে শুনতেন। আমাদের ছোট্ট বাসায় সেই জানালাটাকে মনে হতো যেন একটা স্বর্গের জানালা। আজ আপনার পাশে দাঁড়িয়ে কফি খেতে খেতে তাই মনে হচ্ছে। : এই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তোমার কফি খেতে ভালো লাগছে? : অনেক ভালো লাগছে। : আমারও বিকেলের এই সময়টায় এখানে দাঁড়িয়ে কফি খেতে ভালো লাগে। শুধু ভালো লাগা নয়. খুবই ভালো লাগে। তবে একটা মজার ব্যাপার. ব্যালকনির এক স্থানটা কিন্তু আগে তেমন আমাকে টানত না। তোমার সঙ্গে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে টানে। আজকাল তো একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। অফিস থেকে ফিরেই আমি কোথাও না গেলে কফি কাপ হাতে বিকেলটা এখানে কাটাই। একাকী মুহূর্তগুলোও আমার এখানে কাটাতে বেশ ভালো লাগে। একাকী অনেক কথা ভাবি। নদী জিজ্ঞেস করল. আমার কথা ভাবেন? রাকিব নরম হাসল। বলল. নদী. তুমি আমার সংস্পর্শে আসার পর অনেক কবিতা লিখছি। প্রতিদিন নতুন নতুন কবিতা। তোমাকে নিয়ে ভাবব নাতো কাকে নিয়ে ভাবব? নদী কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বলল. আমি জানি। যার কবিতা লেখা ধ্যান. তার কবিতার মানসীও ধ্যান...! রাকিব বলল. বাহ. তুমি বেশ সুন্দর কথা বলেছ তো! তুমি এত সুন্দর কথা শিখেছ কোথা থেকে? নদী চোখ বড় করে বলল. দেখুন. যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করলেও আমি একজন কবির মেয়ে। আরেকজন কবির...! রাকিব জিজ্ঞেস করল. আরেকজন কবির কী? নদী জবাব না দিয়ে মৃদু হেসে দৃষ্টি নামিয়ে নিল। রাকিব বলল. নদী. থ্যাংক ইউ। নদী জিজ্ঞেস করল. থ্যাংক ইউ কেন? : তুমি আজ এই বিকেলে আমার জন্য আমার পছন্দের শাড়িটা পরে এসেছ যে। : সত্যি করে বলেন. শাড়িটা আমাকে মানিয়েছে তো? : পরি লাগছে। পরির রাজকন্যার মতো লাগছে। কপালে সবুজ টিপ. চোখে কাজলের টান. ঠোঁটে খয়েরি লিপস্টিক...! : আপনার এম্যারল্ডের সেটটা শাড়ির সঙ্গে মানিয়েছে না? : দারুণ মানিয়েছে। আচ্ছা. হাতের এই সবুজ কাচের চুড়িগুলো কি তোমার আগে থেকেই ছিল? : নাহ. আমার কাচের চুড়ি থাকবে কোথা থেকে? : তাহলে? : এগুলো আমি শিমুল ভাবির কাছ থেকে নিয়েছি। : এত কিছু তুমি আমার পছন্দের জন্য করেছ? নদী মাথা ঝাঁকিয়ে বলল. হ্যাঁ! রাকিবও মাথা ঝাঁকাল। এক মুহূর্তের জন্য কী যেন ভাবল। তারপর আস্তে করে জিজ্ঞেস করল. নদী. তোমাকে একটা অনুরোধ করতে পারি? : হ্যাঁ. করুন। : আমি কি তোমার পিঠে একটু হাত রাখতে পারি? নদী এক মুহূর্তের জন্য চুপ হয়ে গিয়ে দৃষ্টির ওঠানামা করল। একবার দূরেও তাকাল। ম্যাকফার্লেন স্ট্রিট ধরে দূরে তাকিয়ে সারি সারি ম্যাপল ও ওক গাছগুলো দেখল। বিকেলটা প্রায় পড়ে এসেছে। গাছে গাছে পাখি ডাকতে শুরু করেছে। পাখিদের নীড়ে ফেরার ডাক। রাকিব তাড়াতাড়ি বলল. সরি. আমি মনে হয় একটু বেশিই অনুরোধ করে ফেলেছি। নদী রাকিবের দিকে সরাসরি দৃষ্টিতে তাকাল। এ মানুষটা সহজে কিছু চান না। বরং সে নিজেই অনেকবার অনেক কিছু চেয়েছে। কখনো হাত ধরা। কখনো বাহু ধরে ঝুঁকে ঝুঁকে হাঁটা। কখনো শরীরে শরীর ঘেঁষে বসা...! আজ মানুষটা নিজ থেকে পিঠে একটু হাত দিতে চাচ্ছেন...! নদী রাকিব থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলল. আপনি আমার পিঠে হাত রাখুন প্লিজ। রাকিব কী ভেবে তারপরও দ্বিধা করতে শুরু করল। নদী এবার রাকিবের গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়াল। একটু কাঁপা গলায় বলল. প্লিজ. আপনি আমার পিঠে হাত রাখুন। আমি খুব খুশি হব। রাকিব এবার নদীর পিঠে হাত রাখল। নদী সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অবলম্বনহীন মাথাটা রাকিবের কাঁধে এলিয়ে দিল। (শেষ) মহিবুল আলম: গোল্ড কোস্ট. কুইন্সল্যান্ড. অস্ট্রেলিয়া। ইমেইল: <[email protected]> ধারাবাহিক এ উপন্যাসের আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন: | 1,572,811 |
2019-01-01 | রিয়াদের বাংলাদেশ স্কুলে বই বিতরণ উৎসব | null | দূর পরবাস ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/durporobash/article/1572810/%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC | durporobash | online | 2 | null | সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কুলে উৎসবমুখর পরিবেশে আজ বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলের বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা দেশের সঙ্গে মিল রেখে সুদূর সৌদি আরবেও নতুন বছরের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারি) নতুন বই পেয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। বই উৎসবে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার এস এম আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মো. আসাদুজ্জামান ও মো. ফখরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আনিসুল হক বলেন. বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কুলের যেকোনো প্রয়োজনে দূতাবাস পাশে রয়েছে। তিনি বলেন. রিয়াদে বাংলাদেশ স্কুলের জন্য জমি ক্রয় করে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করার জন্য রাষ্ট্রদূতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের বছরের প্রথম থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত বিওডি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম স্কুলের সংকটকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক অনুদানের কথা তুলে ধরে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন. অভিবাসীদের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে রিয়াদের বাংলাদেশ স্কুলের নিজস্ব ভবন তৈরি হবে। তিনি এ ব্যাপারে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরা ছাড়া আরও বক্তব্য দেন স্কুলের অধ্যক্ষ আফজাল হোসাইন। এ সময় জেএসসি ও পিএসসিতে জিপিএ ফাইভপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি | 1,572,810 |
2019-01-01 | সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত. হাতপাখা দ্বিতীয় | পটুয়াখালীর চার আসন | মোর্শেদ নোমান. পটুয়াখালী থেকে ফিরে | ২ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572809/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F | bangladesh | online | 2 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|জাতীয় পার্টি | পটুয়াখালীর চারটি আসনেই মহাজোটের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। এসব আসনে পরাজিত ১৬ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর সবগুলো আসনেই হাতপাখা নিয়ে নির্বাচন করা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। পটুয়াখালীর চারটি আসনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এই জেলার চারটি আসনে বেশ কয়েকজন ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী থাকায় এখানকার নির্বাচন নিয়ে সবার বেশ আগ্রহ ছিল। কিন্তু নির্বাচনের ফলে শাসক দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভোটের সংখ্যা বিপুল হলেও বিরোধীদের চিত্র হতাশাজনক। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন।নির্বাচনী আইন অনুসারে প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। প্রার্থীরা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এই জামানত জমা দেন। পটুয়াখালী-১পটুয়াখালী ১ আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এখানে প্রধান দুই প্রার্থী ছিলেন সাবেক দুই মন্ত্রী। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। আর মহাজোটের প্রার্থী সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া। দুজনই নিজ দলের জেলা কমিটির সভাপতিও। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলতাফুর রহমান. জাকের পার্টির আবদুর রশীদ. বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) আবদুল মতলেব মোল্লা ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সুমন সন্যামত ভোটের মাঠে ছিলেন।ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়. এই আসনের ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৬ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫৭৬। ভোট পড়েছে ৭৭ দশমিক ৪ শতাংশ। চূড়ান্ত ফলে মহাজোট প্রার্থী শাহজাহান মিয়া ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের ৮৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ পেয়েছেন তিনি। এই আসনে ১৪ হাজার ৮৭৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলতাফুর রহমান। বিএনপির প্রার্থী আলতাফ হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ১০ হাজার ৪১৩ ভোট। সিপিবির প্রার্থী ১ হাজার ১৩১. এনপিপির প্রার্থী ১ হাজার ১৬১. জাকের পার্টি ২ হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থী বাদে অন্য পাঁচ প্রার্থীর কেউই ৮ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পটুয়াখালী-২এই আসনে প্রার্থী ছিলেন মোট চারজন। শাসক দলের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ. বিএনপির সাবেক সাংসদ সহিদুল আলম তালুকদারের স্ত্রী সালম আলম. সিপিবির শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ইসলামী আন্দোলনের নজরুল ইসলাম ভোটের মাঠে ছিলেন। এই আসনে মোট ভোট ২ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৩। ভোট পড়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২৯. মোট ভোটের ৮০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বিজয়ী প্রার্থী আ স ম ফিরোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩। তিনি প্রদত্ত ভোটের ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ পেয়েছে। এখানেও দ্বিতীয় হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তারা পেয়েছে ৯ হাজার ২৬৯ ভোট। বিএনপির প্রার্থী ৫ হাজার ৬৬০ ও সিপিবির প্রার্থী ১ হাজার ৯৯ ভোট পেয়েছেন। পরাজিত সব প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। পটুয়াখালী-৩আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাংসদ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনকে বাদ দিয়ে এই আসনে দলটি মনোনয়ন দেয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার ভাগনে এস এম শাহজাদাকে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিন ঘন্টার মধ্যে বিএনপিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন বাগিয়ে নেন গোলাম মাওলা রনি। এই দুজনের জন্য এই আসনের নির্বাচনের দিকে সবারই আগ্রহ ছিল। কিন্তু সেখানেও নির্বাচনে হয়েছে একতরফা। মাঠেই ছিলেন না গোলাম মাওলা রনি। যদিও রনির অভিযোগ ছিল তাঁকে ‘গৃহবন্দী’ করে রাখা হয়। এই আসনে ইসলামী আন্দোলনের কামাল খান ও জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম মাঠে ছিলেন।ভোটের ফলে দেখা যায়. ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৭৩ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯৯ ভোট পড়েছে সেখানে। ভোট পড়ার হার ৭৮ দশমিক ৮৮। বিজয়ী প্রার্থী এস এম শাহজাদা পেয়েছেন ২ লাখ ১৭ হাজার ২৬১ ভোট যা প্রদত্ত ভোটের ৯২ দশমিক ২২ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী পেয়েছেন ৯ হাজার ৯ ভোট। বিএনপি ৬ হাজার ৪৫৯ ও জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২ হাজার ২ ভোট। এখানেও পরাজিত ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। পটুয়াখালী-৪এই আসনে প্রার্থী মোট ৬ জন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিব্বুর রহমান প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ৯১ এর নির্বাচন থেকেই তিনি মনোনয়ন চেয়ে আসছিলেন। সাবেক সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমানের আপন ফুপাতো ভাই তিনি। আর বিএনপি প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা মোশাররফ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। অন্য প্রার্থীরা হলেন ইসলামী আন্দোলনের হাবিবুর রহমান হাওলাদার. ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুর রহমান. জাতীয় পার্টির আনোয়ার হাওলাদার ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাসদ নেতা জহিরুল আলম।এই আসনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ১৯০ ভোট পড়েছে। ভোট পড়ার হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বিজয়ী প্রার্থী মহিব্বুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮১ ভোট. যা প্রদত্ত ভোটের ৯২ শতাংশ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ৭ হাজার ২৫১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি ৬ হাজার ৯৭. ইসলামী ঐক্যজোট ৯৬৭. জাতীয় পার্টি ৯৫৮ ও বাসদ ৩০৮ ভোট পেয়েছেন। এখানেও পরাজিত ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। | 1,572,809 |
2019-01-01 | দুই মাস পর জামিনে মুক্ত বিএনপি নেতা | null | প্রতিনিধি. নারায়ণগঞ্জ | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572808/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4 | bangladesh | online | 2 | আইন ও আদালত|বিএনপি|নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান প্রায় দুই মাস পর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেনের ঘনিষ্ঠ আইনজীবী আনোয়ার প্রধান বলেন. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার সবগুলো মামলায় জামিন থাকায় তিনি মঙ্গলবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় তাঁর মায়ের কাছে আছেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাখাওয়াত হোসেন বলেন. ‘আমি যাতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে না থাকতে পারি. সরকার যাতে একচেটিয়াভাবে তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে—শুধু এই রাজনৈতিক কারণে. কষ্ট দেওয়ার জন্য আমার জীবন থেকে দুই মাস কেড়ে নেওয়া হলো। আমি কখনো কোনো অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমাকে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে আমি অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছি।’ গত বছরের ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা-পুলিশের নাশকতার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও ফতুল্লা মডেল থানার অপর একটি মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। | 1,572,808 |
2019-01-01 | নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মেরাজের পরিবারের পাশে সাংসদ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. রাজশাহী | ৪ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572807/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87 | bangladesh | online | 3 | রাজনীতি|বিএনপি|আওয়ামী লীগ|জামায়াত|একাদশ সংসদ নির্বাচন | রাজশাহীর মোহনপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মেরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সন্তানদের জন্য ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আয়েন উদ্দিন। তিনি সেই কথা রাখলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে সোনালী ব্যাংকের মোহনপুর শাখায় নিহত মেরাজুলের স্ত্রী শেফালী বেগম. ছেলে সেফাত ইসলাম ও ভাই হুমায়ুনের নামে পাঁচ লাখ টাকার একটি এফডিআর করে দেন। রাজশাহীর মোহনপুরে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় নিহত হন মেরাজুল ইসলাম। নির্বাচনের পরের দিন গতকাল সোমবার সাংসদ আয়েন উদ্দিন নিহত মেরাজুল ইসলামের বাড়িতে যান। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানেরা। আয়েন উদ্দিন তখনই মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী শেফালীর হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই সঙ্গে মোহনপুর সোনালী ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকার এফডিআর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া পরিবারটি যাতে চলতে পারে সে জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় আয়েন উদ্দিন বলেন. ‘বিএনপি-জামায়াতের প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়েছে মেরাজুল ইসলাম। আমি আমার এলাকার প্রত্যেক মানুষকে ভালোবাসি। দলমত-নির্বিশেষে সবার সেবা করতে চাই। দোয়া করি আল্লাহ মেরাজুলকে বেহেস্তবাসী করুন।’ তিনি আরও বলেন. ‘নিহত মেরাজুলের ছেলেকে শিক্ষিত করতে হবে। ছেলে সেফাতের শিক্ষা ও স্ত্রী শেফালীর সংসার খরচের জন্য আমি সব সময় তাদের পাশে আছি’। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হযরত আলী. ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন. মৌগাছি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস. উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন. মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেন. মেরাজুলের স্ত্রী শেফালী বেগম. ছেলে সিফাত ইসলাম ও ভাই হুমায়ুন প্রমুখ। মেরাজের ভাই হুমায়ুন নগদ ২০ হাজার টাকা পাওয়া এবং পাঁচ লাখ টাকার এফডিআর খোলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। | 1,572,807 |
2019-01-01 | দিনমজুরের মেয়েই এখন ক্রীড়াঙ্গনের বড় সম্পদ | null | মারুফ সামদানী. প্রতিনিধি. লোহাগড়া. নড়াইল | ১ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572815/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A6 | sports | online | 3 | হকি|অ্যাথলেটিকস | দিনমজুরের সন্তান নমিতা কর্মকার ক্রীড়াক্ষেত্রে হতে পারে বাংলাদেশের বড় সম্পদ। নমিতা কর্মকারের বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা চায়না কর্মকার বাসা বাড়িতে কাজ করেন। এই পরিবারের কিশোরী কন্যাই এখন খেলাধুলায় বাংলাদেশের বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে। জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে বর্শা নিক্ষেপে নতুন রেকর্ড গড়েছে সে। দারুণ ব্যাপার হচ্ছে. একজন হকি খেলোয়াড় হিসেবেও সে নিজেকে গড়ে তুলছে। নারী হকিতে ইতিহাসেই নাম লিখিয়েছে এই নমিতা। গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ৩৪ তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস দিয়েই নমিতা পাদপ্রদীপের আলোয় আসে। বর্শা নিক্ষেপে আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলে ৩৬ দশমিক ৩৬ মিটার দূরত্ব পার করে। সে প্রতিযোগিতার ডিসকাস থ্রো আর শটপুটেও নমিতা নিজেকে প্রমাণ করেছে। এই দুইয়ে সোনা জিততে না পারলেও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে নড়াইলের এই কিশোরী। তবে বর্শা নিক্ষেপের সাফল্য তাকে আলাদাভাবেই পরিচিতি দিয়েছে। নভেম্বর মাসেই নমিতা ইতিহাসের অংশ হয়ে যায় দেশের প্রথম নারীদের হকি দলের সদস্য হয়ে। সফরকারী ভারতের কলকাতা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের সিরিজ জয়ে দারুণ ভূমিকা তার। নিজে গোল তো করেছেই. সতীর্থকে দিয়ে গোল করাতেও জুড়ি নেই নমিতার। ঢাকা একাদশের সেরা খেলোয়াড় ছিল সে। নমিতা নড়াইলের লোহাগড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। লোহাগড়া পৌর শহরের কচুবাড়িয়ায় ওদের বাস। সাড়ে সাত শতাংশ জমির ওপর বসতভিটেটাই সম্বল। এখানে ছোট্ট দুটি ঝুপড়ি টিনের ঘর। অন্য কোনো জমিজমা নেই। নেই আর কোনো আয়। বাবা মাখন কর্মকারের বয়স প্রায় ৬০। কানে শোনেন না। এক চোখে দেখেন না। শরীরের নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। ছিলেন কাঠুরে। এখন শক্ত পরিশ্রমের কাজ করতে পারেন না। তাই পানের বরজে কাজ করেন। কিন্তু কাজটি মৌসুমি। প্রায় ছয় মাস কাজ থাকে না। নভেম্বর থেকে কাজ নেই। তখন পরিবারের সদস্যদের নির্ভর করতে হয় নমিতার মায়ের সামান্য আয়ের ওপর। অবশ্য বছর দুই হলো জ্যাভলিন খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনে (বিজেএমসি) যোগ দিয়েছেন নমিতা। বেতন সপ্তাহে ১ হাজার ৯০০ টাকা। এই টাকাটা সংসারে কাজে আসছে। মাখন কর্মকরের তৃতীয় সন্তান এই নমিতা। বড় দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এখন পাঁচজনের সংসার। ছোট মেয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে। ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। নমিতা নিজেকে অনেক দূর নিয়ে যেতে হয়. ‘ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক ছিল খেলাধুলায়। শুরু ফুটবল দিয়ে। অ্যাথলেটিকস হয়ে এখন হকিতে। আমি হকি নিয়েই এখন বেশি স্বপ্ন দেখি।’ দেশে একদিন হকিতে নারীদের জাতীয় দল হবে। সে দলে খেলতে চায় সে। নমিতা ক্রিকেটের মতো হকিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চায় অন্য উচ্চতায়। খেলার হাতেখড়ি তাঁর বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক দিলীপ চক্রবর্তীর কাছে। দিলীপ চক্রবর্তী বললেন. ‘হকিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নিজের চেষ্টায় উঠছে নমিতা। নমিতাদের লালন করা গেলে হবে এ দেশের বড় সম্পদ।’ খেলায় এই সম্পদটিকে এখন আমাদের লালন করতে হবে অতি যত্নে। সে যত্ন কী নমিতা পাবে? | 1,572,815 |
2019-01-01 | ওভাই নিয়ে এল লয়্যালটি প্রোগ্রাম ওভাইমাইলস | null | অনলাইন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/economy/article/1572802/%E0%A6%93%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%93%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%B8 | economy | online | 3 | প্রতিষ্ঠানের খবর | দেশের রাইড শেয়ারিং সেবায় ওভাই নিয়ে এসেছে প্রিমিয়াম লয়্যালটি প্রোগ্রাম ওভাইমাইলস। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ওভাইয়ের এই প্রোগ্রামে সেবাগ্রহণ করলেই থাকছে ওভাইমাইলস অর্জন করার সুযোগ। অর্জিত ওভাইমাইলস নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে ওভাইয়ের একই সেবায় ব্যবহার করা যাবে। ওভাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়. এমিরেটস ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের মতো উন্নতমানের যাত্রীসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৮ সালের শুরুতে সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে ওভাই। যাত্রীদের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। উল্লেখযোগ্য ও আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ওভাইকে অন্যান্য রাইড শেয়ারিং সার্ভিস থেকে আলাদা করেছে। ওভাইয়ের রয়েছে নিজস্ব মোটরসাইকেল বহর। ফলে যে কোনো সময় এবং শহরের যে কোনো প্রান্ত থেকেই যাত্রীরা সেবা নিতে পাচ্ছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে যাত্রীদের রক্ষা করে সর্বাধিক নিরাপদ এবং সুবিধাজনক সেবা সুনিশ্চিত করার জন্য তাদের যানবাহনগুলোতে ব্যবহার করা হয় ভেহিকেল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস)। যার মাধ্যমে ওভাই যাত্রী ও চালক উভয়ের অবস্থান সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায়। এ ছাড়া ওভাই নারী যাত্রীদের সেবা দিতে নিয়ে এসেছে আরও একটি সার্ভিস ওবোন। ওবোনের মাধ্যমে নারী রাইডাররা নারী যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন এবং তাদের আধুনিক ও ব্যস্ত জীবনে তাল মিলিয়ে চলতে সহায়তা করে। অ্যাপের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা সেবাও দিচ্ছে ওভাই। গুগল প্লে স্টোর এবং আইওএস অ্যাপ স্টোর উভয় প্লাটফর্ম থেকেই ওভাই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা ওভাইয়ের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে (১৬৬৩৩. ০৯৬১০০৫৬৭৮৯) অনুরোধ করেও রাইড বুক করতে পাচ্ছেন। ওভাই অ্যাপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো SOS বাটন। যার মাধ্যমে যাত্রী এবং রাইডার যাত্রাপথে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে SOS বাটনের সাহায্যে ওভাইয়ের গ্রাহকসেবায় যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা পাবেন। বর্তমানে ওভাইয়ের ৪ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী এবং ১ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত রাইডার রয়েছে। যাত্রা শুরুর এক বছরের মধ্যেই ঢাকার ১৭৯টি পয়েন্ট ছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেট শহরে ওভাইয়ের সেবা পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতকে নির্ঝঞ্ঝাট ও নিরাপদ করে তোলার লক্ষ্যে এবং এই সেবা দেশের অন্যান্য শহরে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে ওভাই। আরও জানতে ফলো করুন ওভাইয়ের ফেইসবুক পেজ এবং ভিজিট করুন ওভাইয়ের ওয়েবসাইট- www.obhai.com. | 1,572,802 |
2019-01-01 | শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর | null | প্রতিনিধি. আগরতলা | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572806/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 3 | রাজনীতি|শেখ হাসিনা|ত্রিপুরা|আওয়ামী লীগ|ভারত | একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বিপ্লবের আশা. আওয়ামী লীগের এই বিশাল জয়ে ত্রিপুরার সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় হবে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ত্রিপুরা সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিন দিক থেকে বাংলাদেশ দিয়ে বেষ্টিত ত্রিপুরা। বাংলাদেশের সাতটি জেলা ঘিরে রেখেছে ছোট্ট রাজ্যটিকে। ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার সহজতম উপায় হলো বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাতায়াত। পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশের সঙ্গে তাই ত্রিপুরাসহ ভারতের গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলই বিশেষ আগ্রহী। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের আমলেই চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে ভারত। চট্টগ্রামের রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর গড়ে উঠছে মৈত্রী সেতু। আগরতলাও রেলপথে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের আখাউড়ার সঙ্গে। এ অবস্থায় ত্রিপুরার উন্নয়নে বাংলাদেশকে পাশে পেতে চান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন. শেখ হাসিনা তাঁর কাছে মায়ের মতো। তাই শেখ হাসিনার জয়ে তিনি একটু বেশিই খুশি। তিনি নিজেই জানান. টেলিফোনে শেখ হাসিনাকে ত্রিপুরা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জবাবে শেখ হাসিনাও তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন. ‘সুযোগ পেলে বিদেশ সফর শুরুই করব বাংলাদেশ দিয়ে।’ প্রসঙ্গত. বাংলাদেশের চাঁদপুরের মেগদাই গ্রামে তাঁর পূর্বপুরুষদের বাড়ি ছিল। শুধু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীই নন. রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের জয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনগণকে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তাপস দে প্রথম আলোকে বলেন. ‘শেখ হাসিনার জয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। উন্নয়নে গতি আসবে।’ আওয়ামী লীগের জয় প্রসঙ্গে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় টুইটে মন্তব্য করেন. ‘ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক. যাকে ইংরেজিতে বলে উইন-উইন। এই জিনিসটা বাংলাদেশের তরফ থেকে আপনার (শেখ হাসিনা) মতো করে কেউ বোঝেনি। আপনি দেশের কর্ণধার হওয়ার আরেকটা সুযোগ পেলেন। এবার এই সম্পর্ক আরও আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাক। আপনার সুস্থ দীর্ঘ জীবন কামনা করি।’ | 1,572,806 |
2019-01-01 | কাদের খানের মৃত্যুতে বলিউডে শোক | null | বিনোদন ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572805/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%A1%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%95 | entertainment | online | 3 | বলিউড | বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা কাদের খান (৮১) আর নেই। কানাডার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিকেলেই তিনি কোমাতে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। ১৭ সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালেই ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কাদের খানের মৃত্যুসংবাদ বলিউডে দ্রুত জানাজানি হয়। এরপর বলিউডজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। বলিউডের অনেক তারকাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রয়াত এ অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। অমিতাভ বচ্চন টুইটারে লিখেছেন. ‘কাদের খান চলে গেলেন। খুবই দুঃখের খবর। আমার প্রার্থনা ও সান্ত্বনা রইল। অসাধারণ একজন স্টেজ আর্টিস্ট আর খুব ভালো একজন অভিনেতা ছিলেন। আমরা অনেক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছি। খুব ভালো একজন সহ-অভিনেতা। দক্ষ একজন লেখক. আর তিনি গণিত বিশেষজ্ঞও ছিলেন!’ অনুপম খের লিখেছেন. ‘কাদের খান আমাদের দেশের একজন সূক্ষ্ম অভিনেতা। সেটে তাঁর সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। খুব ভালো লেখক ছিলেন। তাঁকে খুব মিস করব।’ অসুস্থ কাদের খানের সঙ্গে নিজের একটি ছবি দিয়ে টু্ইটারে মধুর ভান্ডারকর লিখেছেন. ‘এমন একজন প্রতিভাবান লেখক. অভিনেতা আর কমেডিয়ানের মৃত্যুর খবর খুবই দুঃখজনক। তিনি একই সঙ্গে আমাদের কাঁদিয়েছেন আবার হাসিয়েছেন। তাঁর সংলাপ সব সময় আমাদের মনোরঞ্জন করেছে।’ স্মৃতি ইরানি লিখেছেন. ‘আপনি যদি গত শতকের আশি কিংবা নব্বই দশকের দর্শক হন এবং ওই সময়ের হিন্দি ছবি দেখে থাকেন. তাহলে কাদের খানের অভিনয়ের জাদু অবশ্যই দেখেছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য কখনো হয়নি। কিন্তু যদি কখনো দেখা হতো. তাহলে বলতাম. আমাদের হাসানোর জন্য ধন্যবাদ. আপনার মতো শিল্পের কারিগরকে ধন্যবাদ।’ অর্জুন কাপুর লিখেছেন. ‘একজন অভিনেতা. একজন লেখক. যাকে দিয়ে একটি প্রজন্ম বোঝায়। ইন্ডাস্ট্রিতে এই শূন্যতা কখনোই পূরণ হবে না।’ মনোজ বাজপেয়ি লিখেছেন. ‘কাদের খানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আপনাকে মিস করব।’ বরুণ ধাওয়ান লিখেছেন. ‘কাদের খান ছিলেন আমার অন্যতম আদর্শ।’ সাধারণ দর্শকেরাও টুইটারে লিখছেন। তেমনি একজন দর্শক লিখেছেন. ‘হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের আরও এক নক্ষত্রের পতন হলো। কাদের খানের মৃত্যু চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। সেই ক্ষতিপূরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাঁর কাজ. তাঁর অভিনয় দর্শকমনে তাঁকে চিরদিন বাঁচিয়ে রাখবে।’ এদিকে কাদের খানের ছেলে সরফরাজ খান বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন. মুম্বাই নয়. কাদের খানকে কানাডার টরন্টোতে দাফন করা হবে। তিনি বলেছেন. ‘এখানে আমাদের পুরো পরিবার রয়েছে। আমরা সবাই এখানেই থাকি। তাই বাবার শেষ কাজও এখানেই হবে।’ | 1,572,805 |
2019-01-01 | মুম্বাইয়ে কাদের খানকে দাফন করা হচ্ছে না | null | বিনোদন ডেস্ক | ৪ | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572800/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE | entertainment | online | 3 | বলিউড | ‘বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কানাডার সময় অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বিকেলেই কোমাতে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। ১৭ সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালেই ছিলেন।’ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন সরফরাজ খান. তিনি কাদের খানের ছেলে। হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেতা কাদের খান (৮১) মারা গেছেন। কানাডার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রী শশিতাকে নিয়ে সরফরাজ খান কানাডায় আছেন। কাদের খানও দীর্ঘদিন তাঁদের কাছেই ছিলেন। মৃত্যুকালে কাদের খান স্ত্রী হাজরা. তিন ছেলে ও তাঁদের স্ত্রী এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। কাদের খানের দাফনের ব্যাপারে সরফরাজ খান বলেন. ‘মুম্বাই নয়. বাবাকে কানাডার টরন্টোতেই দাফন করা হবে। এখানে আমাদের পুরো পরিবার রয়েছে। আমরা সবাই এখানেই থাকি। তাই বাবার শেষ কাজও এখানেই হবে।’ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরফরাজ খান বলেন. ‘বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাঁর ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা যেভাবে সব সময় আমাদের পরিবারের পাশে থেকেছেন. আমাদের মনোবল জুগিয়েছেন. এ জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’ পিটিআই আগেই জানিয়েছে. কাদের খান শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে নিয়মিত ভেন্টিলেটর থেকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেটরে স্থানান্তরিত করেন। দুই দিন আগে জানা যায়. তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই পুরো সময়টা কাদের খানের ছেলে সরফরাজ আর তাঁর স্ত্রী হাসপাতালেই ছিলেন। আগেই জানা গেছে. কাদের খান অনেক দিন থেকেই প্রোগ্রেসিভ সুপ্রানিউক্লিয়ার পলসিতে (পিএসপি) ভুগেছিলেন। এ সমস্যায় রোগীরা স্বাভাবিক ভারসাম্য ও স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। পিএসপির কারণে তিনি বাক্শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ে তাঁর হাঁটুতে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কাদের খানের জন্ম আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। বলিউডে ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ২৫০টি ছবির সংলাপ লিখেছেন। রাজেশ খান্না অভিনীত ‘দাগ’ ছবি দিয়ে ১৯৭৩ সালে বলিউডে অভিনয়জীবন শুরু করেন কাদের খান। | 1,572,800 |
2019-01-01 | নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আরও একজনের মৃত্যু | null | প্রতিনিধি.চুয়াডাঙ্গা | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572801/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81 | bangladesh | online | 3 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|সহিংসতা|আওয়ামী লীগ|বিএনপি|জামায়াত | নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. রিংকু (৩৪)। তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী মিছিলে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় আহত হয়েছিলেন। ঘটনার ১১ দিন পর গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে নির্বাচনকালীন সহিংসতায় রাজশাহী. কুমিল্লা ও লালমনিরহাটে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন গতকাল সোমবার সকালে এবং অন্যজন রোববার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁদের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন দুজন এবং এর আগের রাতে একজন আহত হয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রিংকুর লাশ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। রিংকু জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের কাটাপোল গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে ও পেশায় দরজি ছিলেন। হাসাদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম নিহত রিংকুকে আওয়ামী লীগ কর্মী বলে দাবি করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে. গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হাসাদহ বাজারে নৌকা প্রতীকের মিছিলে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালায়। ওই সময় মিছিলে থাকা মো. রিংকু গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর তাঁকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই রাতেই তাঁকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেলে মারা যান রিংকু। রাতেই লাশ গ্রামে আনা হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে কাটাপোল গ্রামে দাফন করা হয়। বোমা হামলার ঘটনায় নিহত রিংকুর ভগ্নিপতি হাসাদহ গ্রামের মো.সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পরের দিন মামলা করে। মামলায় ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই মামলার এজাহারভুক্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া প্রথম আলোকে জানান. আইনগত কারণে রিংকুর লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন. ২১ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলাটির সঙ্গে নতুন করে ধারা যোগ হয়ে তা হত্যা মামলায় পরিণত হবে। | 1,572,801 |
2019-01-01 | পুরস্কার নিয়ে ভাবেন না রোনালদো | null | খেলা ডেস্ক | ২ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572803/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B | sports | online | 3 | ফুটবল|ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো|জুভেন্টাস | গত বছর কোনো ব্যক্তিগত পুরস্কার পাননি রোনালদো। নতুন বছরে এসে জানালেন. এসব পুরস্কার নিয়ে ভাবেন না গত ১০ বছরের ব্যক্তিগত পুরস্কারের তালিকার দিকে তাকালে মাত্র দুজন নামের দেখা মিলবে। একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো. অন্যজন লিওনেল মেসি। ব্যক্তিগত এমন কোনো পুরস্কার নেই. যা তারা অর্জন করেননি। প্রায় সকল পুরস্কারেই ভাগ বসিয়েছেন এই দুজন। তবে তাদের রাজত্বের দিন শেষ হয়েছে। তাদের রাজত্বে গত বছর হানা দিয়েছেন লুকা মদরিচ। মদরিচ এসেই কেড়ে নিয়েছেন ব্যালন ডি’অর. ফিফা বেস্ট অ্যাওয়ার্ড। এ দেখে সাহস পাচ্ছেন নেইমার. সালাহ. এমবাপ্পেরা। নিজেদের রাজত্ব হারানোর পর রোনালদো বলেই দিলেন. ব্যক্তিগত পুরস্কারের দিকে তাঁর তেমন আগ্রহ নেই। কিছুদিন আগে রোনালদো বলেছিলেন. পুরস্কার জেতা তাঁর জন্য নতুন এক অণুপ্রেরণা। প্রতিবার পুরস্কার জিতলে নতুন করে শুরু করবার আগ্রহ পান। তবে এখন পুরস্কার জেতার অনুভূতি বাকি সব রেকর্ড ভাঙার মতোই মনে হচ্ছে. ‘সত্যি বলতে আমার কাছে এখন ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রাপ্তির চাইতে দলের জয়ে ভূমিকা রাখা আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে রেকর্ড ভাঙার অনুভূতি একইরকম আছে তাঁর জন্য। ‘তবে সব রেকর্ড ভাঙার মতো আনন্দ একইরকম। কারণ এর মানে আমার উন্নতি ঘটছে. যাতে রেকর্ডগুলো আমি ভাঙতে পারছি।’ ৮ বছর পর এই প্রথম কোনো বছরে ৫০ গোল করতে পারেননি রোনালদো। ২০১৮ সালে তাঁকে থামতে হয়েছে ৪৯ গোলে। শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেই রেকর্ড বজায় রাখতে পারতেন তিনি. কিন্ত দুই গোল করায় থামতে হয়েছে ৪৯-এই। জুভেন্টাসের জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে মাত্র ১ গোল করেছেন রোনালদো। অথচ রোনালদোকে জুভেন্টাস কিনেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের জন্যই। সে পথে অবশ্য এখনো অটল জুভেন্টাস। নতুন দলকে নিয়ে অনেক আশা রোনালদো. ‘দলের সবদিক দিয়েই অনেক উন্নতি হয়েছে। জেতা সব সময়ই কঠিন. যে কারণে আমি প্রতিদিন প্রতিদিনকে ছাড়িয়ে যেতে চাই।আমি অবশ্যই চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চাই. তবে জিততে না পারলে পুরো পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে না।’ | 1,572,803 |
2019-01-01 | আফগানিস্তান সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ডে. বাংলাদেশ নয় | ২০২০ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ | ক্রীড়া প্রতিবেদক | ১৪ | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572797/%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6 | sports | online | 3 | ক্রিকেট|বাংলাদেশ | সুপার টেন নয়. ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকবে ‘সুপার ১২’. আরেক অর্থে দ্বিতীয় রাউন্ড। এই সেরা ১২ পর্বেও সরাসরি খেলতে পারছে না বাংলাদেশ। সরাসরি সুপার ১২ খেলতে হলে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে থাকতে হতো সেরা আটে। দেশের মাঠে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি ‘সুপার টেন’ বা সেরা দশে খেলতে পারেনি। ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ সরাসরি সেরা দশে খেলতে পারেনি। দুটিতেই বাংলাদেশকে সুপার টেনে পা রাখতে হয়েছে প্রাথমিক পর্বের বৈতরণি পেরিয়ে। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে এগোতে হবে একই পথ অনুসরণ করে। এবার অবশ্য সুপার টেন নয়. থাকছে ‘সুপার ১২’। বাংলাদেশ সরাসরি সুপার ১২ খেলতে পারছে না। অথচ আফগানিস্তানের আশ্চর্য উত্থান. তারা টুর্নামেন্ট শুরুই করবে এ পর্ব থেকে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরাসরি সুপার ১২ খেলতে হলে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে থাকতে হতো সেরা আটে। বাংলাদেশ আছে ১০-এ। নিয়ম অনুযায়ী. সুপার ১২ খেলতে হলে বাংলাদেশকে এখন প্রাথমিক পর্বটা পেরিয়ে আসতে হবে. যেটা তাদের পেরোতে হয়েছিল ২০১৪ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও । অথচ যে আফগানিস্তান ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্ব পেরোতে পারেনি. গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেন খেলছে প্রথম পর্বের বাধা পেরিয়ে. তারাই সরাসরি ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ১২ খেলবে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানদের অবস্থান যে আটে। বাংলাদেশের সান্ত্বনা. তিনবারের ফাইনালিস্ট ও ২০১৪ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকেও খেলতে হচ্ছে প্রাথমিক পর্বে। র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে থাকা শ্রীলঙ্কানরা সরাসরি সুপার ১২ খেলতে পারছে না। সরাসরি সুপার ১২ খেলবে পাকিস্তান. ভারত. ইংল্যান্ড. অস্ট্রেলিয়া. দক্ষিণ আফ্রিকা. নিউজিল্যান্ড. ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। বাকি চারটি দল আসবে প্রাথমিক পর্ব থেকে। এই পর্বে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অংশ নেবে আরও ছয়টি দল। ওয়ানডে বিশ্বকাপ কিংবা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থেকে যেখানে অনায়াসে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়. টি-টোয়েন্টিতে কেন যেন সেটা দেখা যায় না। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ খেলেছে ১৬ টি-টোয়েন্টি. এক বছরে এর চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড নেই দলটির। তারা জিতেছে মাত্র ৫টিতে. হেরেছে ১১টিতেই। আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটা বাদে হেরেছে প্রতিটি সিরিজ-টুর্নামেন্টেই। এর মধ্যে আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের লজ্জাও। সরাসরি সুপার ১২ খেলা নিয়ে অবশ্য সাকিব আল হাসান যথেষ্ট আশাবাদী. ‘সুপার ১২ সরাসরি খেলতে পারছি না ঠিক আছে. তবে আমি আত্মবিশ্বাসী. আমরা প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারব। নিজেদের দিনে যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আমরা রাখি। টুর্নামেন্ট অনেক দূর না যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। এখনো সময় আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে এটা আমরা কাজে লাগাব। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি (গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই). সেটি খুব বেশি দিন আগের নয়। ওই পারফরম্যান্স টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সামর্থ্যের ব্যাপারে অনেক আত্মবিশ্বাসী করেছে।’ | 1,572,797 |
2019-01-01 | অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় বেশি ভোট পড়েছে | রিয়াজুল বললেন | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | ২৮ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572799/%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87 | bangladesh | online | 3 | একাদশ সংসদ নির্বাচন|মানবাধিকার|নির্বাচন কমিশন | জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন. দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার জন্য দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। তবে দলীয় সরকারকে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দিতে হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রাক্–নির্বাচন. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যাবলি পর্যালোচনা ও নির্বাচন–পরবর্তী মানবাধিকার সংরক্ষণে করণীয়—বিষয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করে কমিশন। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কাজী রিয়াজুল হক বলেন. এবারের জাতীয় নির্বাচনে কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই নির্বাচন বড় কোনো সংঘাতময় নয়. বরং অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় বেশি শতাংশ ভোটও গণনা হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের ভোট দেওয়া ছিল অংশগ্রহণমূলক। রিয়াজুল হক বলেন. এবারের নির্বাচন উপলক্ষে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে গত ২৬ ডিসেম্বর একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়। তাদের হটলাইন ১৬১০৮ নম্বর ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত চালু ছিল। নির্বাচনের দিন সারা দেশে থেকে ৫২টি অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে ছিল—বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যেতে বাধা দেওয়া. ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি. লক্ষ্মীপুরের একটি নির্বাচনী এলাকায় বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া। নির্বাচন–সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে কাজী রিয়াজুল হক বলেন. ‘আমরা এসব অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে অবহিত করেছিলাম। দু-একটি কঠিন ঘটনা ঘটেছে। যেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন. জেলা প্রশাসন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তদন্ত নিতে চিঠি দিয়েছি। এসব অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করা হয়নি. আমরা এসব খতিয়ে দেখব।’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে একটি দল নিয়ে ঢাকার ৬ থেকে ৭টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি সাংবাদিকদের জানান. সবগুলো ভোটকেন্দ্রতেই তিনি অবাধ. শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন। ভোটকেন্দ্রগুলোয় বিরোধী দলগুলোর পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন. ‘কয়েকটি কেন্দ্রে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট পেয়েছি। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে পাইনি। পোলিং এজেন্ট না থাকা. কেন্দ্রে প্রবেশের বাধার কারণ আমরা পর্যবেক্ষণ করব।’ ভোটাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কি না. জিজ্ঞেস করা হলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন. ‘একটি দল বা প্রতীকের পক্ষে এত ভোট পড়ল। আর আরেকটি প্রতীকের পক্ষে কম ভোট পড়ল. এর কারণটা কী? এটা তো আমরা বলতে পারব না। এটা বলতে পারবে নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলো। যেসব এলাকায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ আছে. সেসব এলাকার লোকজন স্থানীয় প্রশাসন বা আমাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানালে. আমাদের যতটুকু আইনগত ক্ষমতা আছে. সে অনুযায়ী তদন্ত করে দেখতে পারি।’ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন মগবাজারের একটি কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহের সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন মানবজমিন পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কাফি কামাল এবং জিটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক ফেরদৌস আরেফিন। এ ছাড়া যশোরে পাঁচজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের সময় হামলায় গুরুতর জখম হন। সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি. এমন প্রশ্নে রিয়াজুল হক বলেন. বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশের বাধা দেওয়ার ঘটনা তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছেন। অনেক জায়গায় সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। নির্বাচনের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর চরজুবলী ইউনিয়নের এক নারী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে কি না. রিয়াজুল হক বলেন. ‘এই ঘটনাগুলো আমরা জানতে পেরেছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করব. আমলে নেব।’ | 1,572,799 |
2019-01-01 | উত্তরে বইছে শৈত্যপ্রবাহ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572791/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9 | bangladesh | online | 3 | শৈত্যপ্রবাহ|আবহাওয়া | পৌষের শীত গেল সপ্তাহে জেঁকে বসার চেষ্টা করছিল। ওই সময় দেশের উত্তরাঞ্চলে কাঁপন ধরানো শীত ছিল। আর রাজধানী ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যায় হিম হিম শীত। কিন্তু গতকাল সোমবার ঢাকায় শীতের পরশ যেন খানিকটা কমে আসে। রাজধানীতে নেই বলে কি শীত উধাও হয়ে গেছে? না. তেমনটি মোটেই হয়নি। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে দেশের উত্তরাঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে. আজ মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের সর্ব উত্তরের এই জেলায় তাপমাত্রা কমে গেছে। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী. পাবনা. নওগাঁ. যশোর. চুয়াডাঙ্গা. ময়মনসিংহ. যশোর জেলা এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১০. ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮. বগুড়ায় ১১. নওগাঁর বদলগাছীতে ৯. রংপুরে ৯ দশমিক ৫. দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪. নীলফামারীর সৈয়দপুর ও সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৮. কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৮. যশোরে ৯ দশমিক ২. চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৩. মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ৫ এবং সাতক্ষীরায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এভাবে শীত আরও কয়েক দিন পড়তে পারে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা নেমে এসেছিল। ৫০ বছরের মধ্যে এটিই ছিল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড। এবারও ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে জানুয়ারি মাসে শীতের ধরন একই রকম বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন. ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় উত্তরাঞ্চল থেকে মধ্যাঞ্চলের ঢাকা জেলা ও আশপাশে বেশ শীত পড়েছিল। গতকাল সোমবার তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল. যা এই শীত মৌসুমে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা। এখন উত্তরাঞ্চলে তীব্র থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও দুদিন এই অবস্থা থাকতে পারে। তারপর হয়তো আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গতবারের মতো ফিফটি ফিফটি শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবার। | 1,572,791 |
2019-01-01 | নেইমারের দামে একাদশই বানিয়ে ফেলল রিয়াল! | null | খেলা ডেস্ক | null | https://www.prothomalo.com/sports/article/1572789/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B6%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%B2-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2 | sports | online | 3 | নেইমার|ফুটবল|রিয়াল মাদ্রিদ | বিশ্ব ফুটবলে গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বাক্য সম্ভবত ‘নেইমারকে কিনতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ।’ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বারবারই ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের হাত ফসকে বেরিয়ে গেছেন। ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে ঠাঁই নিয়েছেন নেইমার। কিন্তু সে দলবদলের মাত্র তিন মাসের মাথায়ও নেইমারকে রিয়ালে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পেরেজ। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে পাওয়ার সুযোগ পেলে আগামীকালই হয়তো ২৫০ মিলিয়ন খরচ করতে রাজি হয়ে যাবেন পেরেজ. অবস্থাটা এখনো এমন! রিয়ালে সভাপতিত্বের প্রথম ধাপে দলকে তারকাপুঞ্জ বানিয়ে ফেলেছিলেন পেরেজ। রবার্তো কার্লোস. রাউল. ক্যাসিয়াস. ম্যাকম্যানাম্যান. হিয়েরো. মরিয়েন্তেস. গুতি. সোলারিদের মতো খেলোয়াড় ছিল লস ব্লাঙ্কোসদের। এরপরও দলে এনেছেন লুইস ফিগো. জিনেদিন জিদান. রোনালদো. বেকহাম ও মাইকেল ওয়েনের মতো মহাতারকাদের। কাগজে-কলমে বিশ্বসেরা সে দল মাত্র একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লিগ জিতেছিল। দ্বিতীয় পর্বে এসেও সে পথে হাটতে চেয়েছিলেন পেরেজ। প্রথম মৌসুমেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো. কাকা. জাবি আলোনসো ও করিম বেনজেমাদের হাজির করেছেন। তাদের দেখানো পথে এসেছেন ডি মারিয়া. ওজিল. মদরিচ. টনি ক্রুস. গ্যারেথ বেল ও হামেস রদ্রিগেজরা। বিশেষ করে বেল আর হামেসকে আনতে বেশ খরচ করতে হয়েছে পেরেজকে. বেলের জন্য ১০১ মিলিয়ন ও হামেসের জন্য ৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছেন তিনি। এবারেও সাফল্যের কলামে শুধু একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও একটি লা লিগা। নেইমার আর এমবাপ্পেদের পিছু ধাওয়া করতে করতেই নতুন এক প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পেরেজ। সে প্রক্রিয়ার নতুন সংযোজন ব্রাহিম ডিয়াজ। স্প্যানিশ পত্রপত্রিকার কথা যদি সত্য প্রমাণিত হয় তবে জানুয়ারিতেই রিয়াল আসছেন এই উইঙ্গার। ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারের জন্য ১৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করবে রিয়াল। মৌসুমে মাত্র ২০৪ মিনিট মাঠে থাকা এক ফুটবলারের জন্য অঙ্কটা বড়। আবার রিয়ালের ইদানীংকালের দলবদলের কথা চিন্তা করলে এ কিছুই নয়। তরুণ প্রতিভা পেলেই যে উদারহস্তে খরচ করছে এ ক্লাব. এমনকি দর-কষাকষিতেও যাচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রিলিজ ক্লজ দিয়েই আনা হচ্ছে তাদের। ভবিষ্যৎ ‘নেইমার’ যেন কোনোভাবেই হাতছাড়া না হয় সে ব্যবস্থা। ২০১৪ সালে হামেসকে কেনার সময়ই আরেক মিডফিল্ডার হাজির হয়েছিলেন রিয়ালে। ব্রাজিলে বিস্মৃতপ্রায় প্রজাতির এক ফুটবলার খুঁজে পাওয়া গেছে শুনেই হাজির হয়েছিল রিয়াল। উইঙ্গার আর উইংব্যাকে ভর্তি দেশে অবশেষে দেখা মিলেছিল এক মিডফিল্ড জেনারেলের। ২১ বছর বয়সী লুকাস সিলভাকে নিতে ১৪ মিলিয়ন খরচ করেছিল রিয়াল। মাত্রই আলোনসোকে বিক্রি করে দেওয়া রিয়াল নতুন ‘আলোনসো’ পাওয়ার জন্য অঙ্কটা কমই ভেবেছিল। ক্রুজেইরো থেকে আসা সিলভা চার বছর পর সেই ক্রুজেইরোতেই আছেন। হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার পর ফর্ম হারিয়ে ফেলার পর এখন ব্রাজিলেই আছেন সিলভা। রিয়ালে ফেরার সম্ভাবনা দিন দিন কমছে তাঁর। ২০১৪ এর শেষভাগেই আরেকটি দলবদল করেছিল রিয়াল। বিশ্বে তোলপাড় ফেলা ১৫ বছরের ড্যানিশ তরুণ মার্টিন ওডেগার্ডকে নিয়েছিল দলে। সেটাও ২.৩ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। খেলোয়াড়ের পরিবারকে চুক্তি স্বাক্ষরের উপহার হিসেবে বাড়তি কয়েক মিলিয়ন ইউরোও দিয়েছিল রিয়াল। ভবিষ্যতের তারকাকে দলে আনার এ চেষ্টার ফল যদিও এখনো পায়নি তারা। ২০ বছর বয়সে এসেও ডাচ এক ক্লাবে ধারে খেলছেন ওডেগার্ড। বার্নাব্যু আলোকিত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি. কিন্তু এতে বাজি ধরার লোক খুব কম। রিয়াল তবু কেন এ প্রক্রিয়া চালু রেখেছে? কারণ. মার্কো অ্যাসেনসিও। ওডেগার্ড ও সিলভাকে দলে নেওয়ার মাঝেই রিয়াল কিনে নিয়েছে এই মায়োর্কানকে। ৩.৯ মিলিয়ন ইউরোর সে খেলোয়াড় এরই মাঝে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। ইউরোপের দুটি ফাইনালে গোল করার কীর্তি হয়ে গেছে তাঁর। ভবিষ্যৎ ব্যালন ডি’অর জয়ী হিসেবে কদিন আগেও জোরেশোরে তাঁর নাম উচ্চারিত হতো। গুঞ্জন আছে এক মৌসুম আগেই তাঁকে কিনতে ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই ক্লাব. অন্তত খেলোয়াড়ের এজেন্টের ভাষ্য অনুযায়ী। এক অ্যাসেনসিও রিয়ালকে ওডেগার্ড-সিলভার কথা ভুলিয়ে দিচ্ছে। এরই পথ ধরে রিয়ালে হাজির হয়েছেন থিও হার্নান্দেজ. জেসুস ভায়েহো. দানি সেবায়োস. আলভারো ওদ্রিওসোলা. ফেডরিকো ভালভার্দে. আন্দ্রিয়া লুনিন। এদের সবার মধ্যে একটাই মিল. সবার বয়স বিশের এদিক না হলে ওদিক। এদের সঙ্গে আরও দুটি নাম যোগ করে নিতে হচ্ছে একটু আলাদা করে—ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো গোয়েস। সান্তোসে খেলা রদ্রিগোর বয়স এখনো ১৮ ছোঁয়নি। এর মাঝেই ২০১৮ কোপা ট্রফিতে (অনূর্ধ্ব-২১ ব্যালন ডি’অর) চতুর্থ হয়েছেন । ১৭ বছরের রদ্রিগোর জন্য রিয়াল ৪০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে। রদ্রিগো তবু সান্তোসের হয়ে মাঠে নেমে রিয়ালের নজরে পড়েছেন। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করার আগেই রিয়ালে নাম লিখিয়েছেন। ফ্ল্যামেঙ্গোর বয়স ভিত্তিক দলে খেলেই এতটাই নাম কামিয়েছিলেন যে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে তাঁকে নিয়ে এসেছে রিয়াল। দেড় বছর পর মাদ্রিদে হাজির হয়েছেন। এরই মাঝে রিয়ালের হয়ে দুটি গোলও পেয়ে গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। ১৭ বছরের দুই কিশোরের জন্য রিয়ালের এত খরচের কারণ? এদের দুজনকেই যে ‘ভবিষ্যৎ নেইমার’ বলা হচ্ছে ব্রাজিলে। এভাবেই গত চার বছরে তরুণ ফুটবলারের পেছনে ২০২.২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে রিয়াল। ব্রাহিম ডিয়াজকে যদি পেপ গার্দিওলার হাত থেকে ছিনিয়ে আনতেই পারে তবে সেটা দাঁড়াবে ২১৭.২ মিলিয়নে। ১২ জন খেলোয়াড়ের জন্য এই অর্থ ব্যয় করেছে রিয়াল। পিএসজি যেখানে শুধু নেইমারের জন্যই খরচ করেছে ২২২ মিলিয়ন ইউরো। রিয়ালের এই দলবদলগুলোর মাঝে বেশ কিছু ব্যর্থতা আছে। ভায়েহো কিংবা থিওরা হয়তো সিলভার মতোই পথ হারাতে বসেছেন। কিন্তু অ্যাসেনসিও. সেবায়োস কিংবা ভালভার্দেদের অভিজ্ঞতা ফুটবলের সঙ্গে আর্থিক লাভেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। রিয়ালের অনভিজ্ঞ কিন্তু প্রতিভাবান কেনার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি ফল আনতে পারে কি না সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই। না হলে পেরেজকে তাঁর প্রিয় তারকা কেনার নীতিতেই ফিরতে হবে। নেইমার. এমবাপ্পে. হ্যাজার্ডদের দিকে এমনিতেও তো কদিন পর পরই তো নজর দিচ্ছেন এই সভাপতি। খেলোয়াড় দেশ পজিশন দলবদল ভিনিসিয়ুস ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ৪৫ মিলিয়ন রদ্রিগো* ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ৪০ মিলিয়ন ওদ্রিওসোলা স্পেন ফুলব্যাক ৩০ মিলিয়ন থিও* ফ্রান্স/স্পেন ফুলব্যাক ২৭ মিলিয়ন সেবায়োস স্পেন মিডফিল্ডার ১৬.৫ মিলিয়ন সিলভা* ব্রাজিল মিডফিল্ডার ১৪ মিলিয়ন লুনিন* ইউক্রেন গোলরক্ষক ১৩.৫ মিলিয়ন ভায়েহো স্পেন রক্ষণ ৫ মিলিয়ন ভালভার্দে উরুগুয়ে মিডফিল্ডার ৫ মিলিয়ন অ্যাসেনসিও স্পেন উইঙ্গার ৩.৯ মিলিয়ন ওডেগার্ড* নরওয়ে মিডফিল্ডার ২.৩ মিলিয়ন ডিয়াজ# স্পেন উইঙ্গার ১৫ মিলিয়ন # এখনো দলবদল হয়নি * ধারে অন্য ক্লাবে | 1,572,789 |
2019-01-01 | মালিবাগে বাসচাপায় ২ তরুণী নিহত. গাড়ি ভাঙচুর | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা ও প্রতিনিধি. ঢাকা মেডিকেল | ৯ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572790/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%80 | bangladesh | online | 3 | সড়ক দুর্ঘটনা|রাজধানী | রাজধানীর মালিবাগে বাসচাপায় দুই নারী গার্মেন্টস কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন তাদের সহকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে মালিবাগে আবুল হোটেলের সামনে বাসচালকের শাস্তির দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন নাহিদ পারভীন পলি (২২) ও মিম (১৬)। তাঁরা এম এইচ গার্মেন্টসের শ্রমিক। পলির বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এবং মিমের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। তাঁরা ঢাকার মগবাজারের পূর্ব নয়াটোলায় ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায় বাস ও বাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ। দুই তরুণীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়. বেলা দেড়টার দিকে মালিবাগের চৌধুরীপাড়ার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন মিম ও পারভিন। এ সময় সদরঘাট থেকে গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাঁদের দুজনকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থালেই মিম মারা যায়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট সুব্রত কুমার দে পারভিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সুব্রত কুমার দে প্রথম আলোকে বলেন. তিনি পারভিনকে আহত অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তরুণী দুজনের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। পরে তাঁদের সহকর্মীরা মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। এ ঘটনায় সুপ্রভাত বাস ও বাসের চালককে হাতিরঝিল থানা-পুলিশ আটক করেছে। হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে দেখা গেছে. আজ তিনটার দিকে মালিবাগে আবুল হোটেলের সামনে বাস চালকের শাস্তির দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। | 1,572,790 |
2019-01-01 | অবশেষে কথা বলার সুযোগ পেলেন সন্ধ্যা রায় | null | প্রতিনিধি. কলকাতা | ১ | https://www.prothomalo.com/international/article/1572788/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F | international | online | 3 | ভারত|পশ্চিমবঙ্গ | ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর আসন থেকে জয়ী হন চিত্রতারকা সন্ধ্যা রায়। সাংসদ হওয়ার দীর্ঘ ৪ বছর ৮ মাস পর গতকাল সোমবার তিনি প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে কথা বলার সুযোগ পান। ভারতে একজন সাংসদের মেয়াদকাল ৫ বছর। দেশটিতে সবশেষ লোকসভা নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে এই নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সন্ধ্যা রায় সাংসদ হওয়ায় এ বছরের মে মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ হবে। গতকাল জিরো আওয়ারে সন্ধ্যা রায়কে প্রথম কথা বলার সুযোগ দেন লোকসভার স্পিকার। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে পার্লামেন্টে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত হন সন্ধ্যা রায়। তিনি প্রথমেই ধন্যবাদ জানান স্পিকারকে। লোকসভায় সন্ধ্যা রায় প্রথম কথা বলায় উপস্থিত সাংসদেরা তাঁকে টেবিল চাপড়ে অভিনন্দন জানান। সন্ধ্যা রায় তাঁর ভাষণে অভিযোগ করেন. ভারত ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলেও ডাকঘরে পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়নি। তিনি ডাকঘরকে ডিজিটালের আওতায় আনার দাবি জানান। একই সঙ্গে তাঁর এলাকাসহ গোটা দেশের ডাকঘরে এটিএম ব্যবস্থা চালুর আবেদন জানান। | 1,572,788 |
2019-01-01 | বিএনপির ‘ভরাডুবি’ কী কী কারণে. জানালেন কাদের | null | বাসস. ঢাকা | ১৩৬ | https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1572787/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E2%80%98%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E2%80%99-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0 | bangladesh | online | 3 | নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন. বিএনপি নেতাদের ভুলের জন্যই নির্বাচনে তাঁদের ভরাডুবি হয়েছে। মনোনয়ন বাণিজ্য. এজেন্ট দিতে না পারা ও নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নেওয়া এই ভরাডুবির প্রধান কারণ। তাঁরা নির্বাচনের নামে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা নাটক করেছেন। সেতুমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন–পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় বিএনপির পরাজয়ের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী কাদের বলেন. বিএনপির প্রার্থীরা কোথাও তাঁদের পোস্টার-ব্যানার লাগাননি। তাঁরা নির্বাচনে পরাজয়ের আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাস্তবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো তাঁদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। তাই এ নির্বাচনে তাঁদের পরাজয় ছিল অবধারিত। উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন. বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ নিজের কেন্দ্রে তাঁর ভোট দিতে যাননি। তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র ৭০ গজের মধ্যে ভোটকেন্দ্র। যদিও তিনি তাঁর কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা ওবায়দুল কাদের বলেন. ‘আমি অবাক হয়েছি যে বিএনপির মতো বড় একটি দলের সাংগঠনিক কোনো কাঠামো নেই। তারা সাংগঠনিকভাবে যে কতটা দুর্বল তা এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিএনপির ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীরাও এজেন্ট দিতে পারেননি। এ কারণে নির্বাচনে তাঁদের ভোটের এমন ফলাফল হয়েছে। কবে নাগাদ নতুন সরকার গঠিত হতে পারে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন. ‘আমরা আশা করি. আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগেই সংসদ সদস্যগণ ও নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবেন। নতুন বছরে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন. নতুন বছরের অঙ্গীকার হচ্ছে এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের যে. ভুল-ভ্রান্তি ও সাংগঠনিক দুর্বলতা বুঝতে পেরেছি তা কাটিয়ে ওঠা।’ আওয়ামী লীগের বিজয়ের কারণ সম্পর্কে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন. জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি বলেন. নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর তা আর কখনো দেখা যায়নি। এ নির্বাচনের রায়ে ’৭০ ও ’৫৪ সালের মতো গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐকমত্যের সরকার হবে নাকি তারা বিরোধী দল হিসেবে থাকবে. তা জানতে চাইলে তিনি বলেন. আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকার গঠনের সময় বিষয়টি দেখবেন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সাংসদদের শপথ না নেওয়া ও তাঁদের আন্দোলন কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন. বিএনপির আন্দোলনের মতো অবজেকটিভ কন্ডিশন দেশে নেই। আর আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মতো সাবজেক্টিভ প্রিপারেশনও তাদের নেই। আন্দোলনের সব সূত্র তাদের বিপক্ষে। তিনি বলেন. বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের এত হতাশ ও বিমর্ষ দেখাচ্ছিল যে মনে হয় যেন তাঁরা নির্বাচনের ভরাডুবিতে ভেঙে পড়েছেন। এ অবস্থায় তাঁদের কর্মীরা কীভাবে আন্দোলন করতে আশাবাদী হবেন? কাদের বলেন. আন্দোলন করতে হলে চেতনার দরকার হয়. আর তার সঙ্গে থাকতে হয় সাংগঠনিক প্রস্তুতি। তার কোনোটিই বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেই। এ ধরনের সামর্থ্য থাকলে তাঁরা নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে অন্তত একটি মিছিল হলেও করত। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরও তাঁরা কোনো ধরনের আন্দোলন করতে পারেননি। তিনি বলেন. বিএনপি তাদের ভাঙা হাট নিয়ে আন্দোলনের সক্ষমতা অর্জন করবে. এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন. আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন. ‘আমরা আশা করি তাঁরা জনগণের রায়কে অসম্মান করবেন না। কারণ যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।’ তিনি বলেন. বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সব সময় গণতন্ত্রবিরোধী ভূমিকা পালন করবে তা দেশের মানুষ যেমন মেনে নেবে না. তেমনি বিশ্বের অন্য নেতারাও তা মেনে নেবেন না। আর তারা (বিএনপি) গণতন্ত্র থেকে পিছিয়ে পড়লে দেশ পিছিয়ে যাবে। নেতা-কর্মীদের প্রতি দলের কী আহ্বান থাকবে জানতে চাইলে কাদের বলেন. ধৈর্য ধরে বিজয়কে ধরে রাখতে হবে। কেউ যাতে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি না করে ও প্রতিপক্ষের ওপর কোনো ধরনের প্রতিহিংসামূলক কোনো কিছু না করে. সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় কাদের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন. আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এদিন সকাল সাতটায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। একই দিন বেলা তিনটায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। | 1,572,787 |
2019-01-01 | দূরত্ব | null | null | null | https://www.prothomalo.com/bondhushava/article/1572786/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6 | bondhushava | online | 3 | কবিতা|ভালোবাসা | তুমি কাছে থাকলে কী কী হতো ভাবি;যদি পাশে থাকতে বুকে টনটনে ব্যথাটা থাকত না.নিজেকে মাঝেমধ্যেই রক্তশূন্য মনে হতো না.হয়তো ভবিষ্যতে যেতে হতো না আর নার্সিংহোমে।তুমি কাছে থাকলে আমার সৌন্দর্য পরিচর্যা হতো সেলুনে.পুষ্পের প্রতি প্রসারিত থাকত সুকোমল জীবন যাপন.ছেড়ে যেত নাছোড়বান্দা জ্বর;প্রেমময় হতো সময়ের সবকটা সিঁড়ি।তুমি কাছে থাকলেই কেবল শ্বাস নেওয়ার নাম জীবন হয়। | 1,572,786 |
2019-01-01 | ‘কবি জসিমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন নির্মলেন্দু গুণ | null | নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা | null | https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1572784/%E2%80%98%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E2%80%8C%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E2%80%99-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8 | entertainment | online | 3 | null | বাংলা কবিতায় কবি জসিম উদ্দীনের অনন্য অবদান স্মরণে বাংলা একাডেমি ২০১৯ সাল থেকে ‘কবি জসিমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করতে যাচ্ছে। এ বছর ‘কবি জসিমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার’ পাচ্ছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। আজ মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যেকোনো শাখায় সার্বিক অবদানের জন্য একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিককে এক বছর অন্তর বাংলা একাডেমি এই পুরস্কার প্রদান করবে। পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্ম ১৯৪৫ সালের ২১ জুন। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা পুরস্কার. একুশে পদক. বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার. আলাওল সাহিত্য পুরস্কার. ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। কবি নির্মলেন্দু গুণের উল্লেখযোগ্য কবিতার বই হচ্ছে ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’. ‘না প্রেমিক না বিপ্লবী’. ‘কবিতা অমীমাংসিত রমণী’. ‘দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী’. ‘চৈত্রের ভালোবাসা’. ‘ও বন্ধু আমার’. ‘আনন্দ কুসুম’. ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’. ‘তার আগে চাই সমাজতন্ত্র’. ‘চাষাভুষার কাব্য’. ‘পৃথিবীজোড়া গান’. ‘প্রথম দিনের সূর্য’. ‘আবার একটা ফুঁ দিয়ে দাও’. ‘মুজিব-লেনিন-ইন্দিরা’. ‘নেই কেন সেই পাখি’. ‘নিরঞ্জনের পৃথিবী’. ‘চিরকালের বাঁশি’. ‘দুঃখ করো না’. ‘বাঁচো’. ‘যখন আমি বুকের পাঁজর খুলে দাঁড়াই’. ‘ধাবমান হরিণের দ্যুতি’. ‘অনন্ত বরফবীথি’. ‘আনন্দ উদ্যান’. ‘পঞ্চাশ সহস্র বর্ষ’. ‘প্রিয় নারী’. ‘হারানো কবিতা’. ‘শিয়রে বাংলাদেশ’. ‘ইয়াহিয়াকাল’. ‘আমি সময়কে জন্মাতে দেখেছি’. ‘মুঠোফোনের কাব্য’ ইত্যাদি। এ ছাড়া উপন্যাস: ‘দেশান্তর’। ছোটগল্প ‘আপন দলের মানুষ’। শিশুসাহিত্য: ‘কালো মেঘের ভেলা’. ‘সোনার কুঠার’. ‘বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন’. ‘মজাঘট’। ভ্রমণকাহিনি: ‘ভলগার তীরে’. ‘ভিয়েতনাম ও কম্পুচিয়ার স্মৃতি’. ‘গিন্সবার্গের সঙ্গে’. ‘ভ্রমি দেশে দেশে’। আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা: ‘আমার ছেলেবেলা’. ‘আমার কণ্ঠস্বর’. ‘শক্তি স্মৃতি ও অন্যান্য’. ‘রক্তঝরা নভেম্বর: ১৯৭৫’। অনুবাদ: ‘রক্ত আর ফুলগুলি’। | 1,572,784 |
2019-01-01 | ‘এত বই পৃথিবীর কোনো দেশ ছাপায় না’ | null | প্রতিবেদক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | ৯ | https://www.prothomalo.com/education/article/1572783/%E2%80%98%E0%A6%8F%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%87-%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E2%80%99 | education | online | 3 | null | সকালের নরম রোদ ধীরে ধীরে তপ্ত হয়ে উঠছে। বিশাল মাঠে পাখিদের মতো কিচিরমিচির করছে অসংখ্য প্রাথমিক-পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে ৷ সঙ্গে আছেন বাবা-মা অথবা বড় ভাই-বোন ৷ সামনে সুন্দর মঞ্চ। বছরের প্রথম দিনে এই খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন শ্রেণির নতুন বই। মাইক হাতে মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন ছোটদের প্রিয় মানুষ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এই প্রিয় মানুষ তাদের প্রশ্ন করলেন. 'তোমরা কেমন আছ?' শিশুদের অসংখ্য অস্পষ্ট শব্দের কিচিরমিচিরে আকাশে-বাতাসে দোলা লাগল। বোঝা গেল. তারা ভালো আছে এবং প্রিয় এই মানুষকে পেয়ে তাদের খুশির রাজ্যে ঝড় উঠেছে ৷ জাফর ইকবাল বললেন. ‘আমি তো মাস্টার মানুষ. ছেলে-মেয়েদের দেখলে আমি প্রশ্ন করি। তোমাদের একটা প্রশ্ন করব?' আবারও সেই সপ্রতিভ কিচিরমিচির। প্রশ্ন করলেন. ‘বলো দেখি. বাংলাদেশ কতগুলো বই সমস্ত ছেলে-মেয়েদের দেবে?' উত্তর এল. ৩৩ কোটি ৷ এরপর ছোটদের এই প্রিয় মানুষ বললেন. 'এত বই পৃথিবীর কোনো দেশ ছাপায় না ৷ কোনো দেশ ছাপাতে পারবেও না. শুধু বাংলাদেশ পারবে ৷ এত কষ্ট করে এতগুলি বই কেন ছাপায়. বলো। তোমাদের জন্য। তোমরা বইটা পড়বে তো? সারা পৃথিবীর কোনো মানুষ এত নতুন বই পায় না। বাসায় গিয়ে আজকে রাতেই সবগুলো বই পড়ে ফেলবে. ঠিক আছে?' প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে 'বই বিতরণ উৎসব ২০১৯' আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এই আয়োজনে ঢাকা মহানগরের রমনা. ধানমন্ডি. লালবাগ. কোতোয়ালিসহ বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত না থাকলেও ফোনে আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক. জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৷ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন. 'সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ৷ আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি স্বশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করছি ৷ আশা করি. এই বই উৎসব সার্থক হবে ৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বই উৎসব পালন করছি ৷ এবার প্রায় ৩৮ কোটি বই আমরা সারা দেশে সমস্ত শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছি ৷ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগ সারা পৃথিবীব্যাপী তাক লাগিয়ে দিয়েছে ৷ আশা করবো. আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়ে পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবে এবং সরকারের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে দেশকে স্বাবলম্বী করে তুলবে এবং উপযুক্ত মানুষে হিসেবে গড়ে উঠবে- তাদের কাছে এই প্রত্যাশা রাখি ৷' খুদে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন. 'তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে তোমরা নতুন বই পাও ৷ আমরা কোনো দিন নতুন বই পাই নাই. সব সময় বড় ভাইদের পুরোনো বই নিতাম ৷ তোমাদেরকে দেখে আমার ঈর্ষা হচ্ছে ৷ কিন্তু খুবই ভালো লাগছে যে বাংলাদেশ এত ভালো হয়েছে. এত বিজয় লাভ করতে পারছে যে আজকে ৩৩ কোটি বই দেওয়া হচ্ছে ৷ হাত তালি দাও ৷ সবাই মিলে বলো. ধন্যবাদ ৷ কারণ আমরা নতুন বই পাচ্ছি ৷ নতুন বই পড়তে তোমাদের ভালো লাগবে না? তোমরা বেশি করে বই পড়বে. বেশি করে খেলাধুলাও করবে ৷ বাংলাদেশে ছেলেরা জেগে উঠেছে. মেয়েরাও জেগে উঠেছে ৷ মেয়েরা বরং ছেলেদের চেয়ে বেশি স্কুলে যায় ৷ এই জন্য আজ থেকে ১০. ২০ বছর পরে বাংলাদেশটা হবে একটা সোনার দেশ. সোনার বাংলা. যার স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন ৷' বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এই খুদে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন. 'আশা করি সবাই ভালো আছ ৷ সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ৷ তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ. তাই তোমাদের হাতে বই তুলে দেওয়াটা সব থেকে বড় কাজ ৷ আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে. যার অক্লান্ত পরিশ্রমেই এটা সফল হয়েছে ৷ আশা করি. তোমরা সবাই পড়াশোনায় মনোনিবেশ করবে. সাথে সাথে খেলাধুলাটাও করতে হবে ৷ দুইটা জিনিসই এক সাথে চালাতে হবে এবং সবগুলোতেই ভালো করতে হবে ৷ আশা করি. তোমাদের এ বছরটা অনেক সুন্দর যাবে. ভালোভাবে যাবে ৷' আয়োজনের সভাপতির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন. ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও দেশ পরিচালনার জন্য জনগণ ম্যান্ডেট প্রদান করেছে ৷ কেন এই ম্যান্ডেট প্রদান করা হয়েছে? একই দিনে আমরা ৩৩ কোটি বই বিতরণ করছি ৷ প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৷ শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আজকে সারা বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বই বিতরণ করছে ৷ এটি সরকারের একটি অভাবনীয় উদ্যোগ ৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটি শুরু হয়েছে ২০১০ সাল থেকে ৷ এখন বাংলাদেশের কোনো গ্রাম নাই যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় নাই ৷ আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ প্রাথমিক শিক্ষার ভিত ও মানকে যদি আমরা শক্তিশালী করতে পারি. তাহলেই কেবল ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গড়তে চান. সেটি সম্ভব ৷ ২০১৯ সাল হোক আমাদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি বছর ৷ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের জন্য আগামীকাল থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু হবে ৷' এই উৎসবের আয়োজকদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়. ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে দেশের ৫০৮টি উপজেলার প্রাথমিক স্তরের ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থীদের হাতে যথাক্রমে ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ১০টি করে আমার বই ও অনুশীলন খাতা এবং ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮২৪টি বই বিতরণ করা হবে ৷ এ ছাড়া. ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আওতাভুক্ত প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হয়েছে ৷ | 1,572,783 |