date
stringclasses
5 values
title
stringlengths
6
64
subtitle
stringlengths
3
47
author
stringlengths
4
56
comment
stringlengths
1
3
ref
stringlengths
109
465
section
stringclasses
15 values
media
stringclasses
2 values
page
int64
1
5
tags
stringlengths
4
118
content
stringlengths
295
16.5k
article_id
int64
1.57M
1.57M
2019-01-04
মোহিত কামালের সমাজমনস্ক শিল্পীসত্তা
null
সেলিনা হোসেন
null
https://www.prothomalo.com/onnoalo/article/1573162/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE
onnoalo
print
1
অন্য আলো
২ জানুয়ারি ছিল কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালের ৬০তম জন্মদিন ২ জানুয়ারি ছিল কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালের ৬০তম জন্মদিন আমাদের সাহিত্যভুবনের সাম্প্রতিক এক নাম মোহিত কামাল। পেশাগত জীবনে তিনি যেমন খ্যাতির শিখরে অবস্থান করছেন. কথাসাহিত্যেও এক প্রণিধানযোগ্য ধারার প্রবর্তক। আমরা জানি. সমাজের অন্তরে যে ক্ষত মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে. তার বিরুদ্ধে তিনি তাঁর শানিত কলম হাতে নিরলস যোদ্ধা হিসেবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। মোহিত কামাল তাঁর চরিত্রদের আমাদের বাস্তব সমাজজীবন থেকেই হাজির করছেন কথাসাহিত্যে। এ বছরেই প্রকাশিত তাঁর উপন্যাস চোরাগলি. যেখানে আমরা লক্ষ করব আমাদের সমাজে কী ঘটে চলেছে। চারপাশে ফাঁদ. চোরাগলি। না-বুঝে অনেক তরুণ-তরুণী আটকে পড়ছে মরণফাঁদে। বিপন্ন হয়ে পড়ছে তাদের জীবন। প্রায় অনতিক্রম্য এ ফাঁদকে রাষ্ট্র-কর্তৃপক্ষ. সমাজ ও পরিবারের পক্ষেও উৎখাত করা যেখানে কঠিন চ্যালেঞ্জ. সেখানে সাহসী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তরুণী ইথা এগিয়ে আসে। বলতে গেলে ইথা সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হয়। এই প্রতিজ্ঞা-প্রজ্বালিত ইথা মোহিত কামালের সৃষ্ট চরিত্র। জিনাত আরা ইথার মা। এই মা এমন এক ‘মা’. যিনি মোহিত কামালের তুলিতে মায়ের অধিক এক মা হিসেবে চিত্রিত হয়েছেন। পাঠকেরা ইথার সাফল্যে অন্ধগহ্বরে ডুবতে থাকা সমাজকে সংস্কারের দিশা পায়। অল্প কথায় উল্লেখ করা যায়. মোহিত কামালের আরও আরও সমধর্মী উপন্যাসের কথা—সুস্মিতার বাড়ি ফেরা. বিষাদনদী. উড়ালমন. না. মন ইত্যাদি। পাঠক পেয়ে যায় ঊর্মি. সুস্মিতা. রুবা. মিথিলাদের। তাদের জীবন থেকে সমাজের. ব্যক্তির ও সমাজ-গবেষকের পাঠ নিতে হবে। চিরকালের হিংসা. অভিলাষ. জিঘাংসা ও পাশববৃত্তির সঙ্গে মিশে গেছে সতর্ক সাইবার ক্রাইম। সমাজ বদলে যায়. চিরকালের চরিত্রও বদলে যায়. আধুনিক কালের প্রযুক্তিঋদ্ধ আত্মবিধ্বংসী চরিত্ররা উঠে আসে সাহিত্যে। শিল্পরূপ সফল না হলে যা সাহিত্য পদবাচ্য না-ও হতে পারে. যে শিল্পরূপ কথাশিল্পীর আরাধ্য. মোহিত কামালের চরিত্ররা মানবিক গুণাবলি পরিস্ফুটনের সফল বাহন হয়েছে। এ কথাকারের সৃষ্টিসম্ভার কম নয়. তাঁর অপরিসীম শ্রমের ফসল আমাদের পথ দেখায়। মরুঝড়: তিনি কেবলই স্বদেশ-স্বসমাজের মানুষের মনোজাগতিক ক্ষতাক্রান্ত চরিত্রাবলিরই লিপিকার নন. তাঁর মরুঝড় উপন্যাসটিতে তা লক্ষ করা যায়। এই মরুঝড় কেবল মরুভূমির দেশের বৃত্তেই সীমাবদ্ধ নয়. এর বিস্তার ঘটেছে সজল বাংলাদেশের মানুষের মনোভূমিতেও। সংকট আর সন্দেহের ঝড় বয়ে চলেছে মনের গহন প্রান্তেও। প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাসের মতোই ঘরে ঘরে. পরিবারে তথা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে এই ঝড় লন্ডভন্ড করে দেয় সজল দেশের জীবন্ত চরিত্রের মন-প্রকৃতি ও মনোভুবন। স্বদেশে রেখে যাওয়া স্বজনদের জন্য মরু-শ্রমিকের বুকের প্রান্তরে জীবন্ত-বাস্তব মরুঝড় যেন-বা বিরহিনী কিশোরী বধূ নামক প্রদীপ শিখাটি নিভে যায়-যায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শাশুড়ির সঙ্গে দ্বন্দ্ব একালের এ ‘গৃহদাহ’-এই পরিবর্তমান নতুন সমাজের নতুন দ্বন্দ্ব. নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতা আজকের কথাসাহিত্যেরও নতুন প্রপঞ্চ। সুস্মিতার বাড়ি ফেরা: চলমান সামাজিক সমস্যাকে লেখক আলোকপাত করেছেন এ উপন্যাসে। নিকট অতীতের অ্যাসিড-সন্ত্রাস যেমন সমাজ মেনে নেয়নি। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তার লাগাম টেনে ধরতে পেরেছে। অথচ এখন চলছে সাইবার ক্রাইম। এ ক্ষেত্রে এই প্রজন্মের তরুণেরাই সিদ্ধহস্ত। তরুণদের একটি ক্ষুদ্রাংশ এই প্রযুক্তির অপব্যবহারে তৎপর হওয়ায় সামাজিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ধ্বংসের মুখে পড়ছে আক্রান্ত পরিবার। এই অনতিক্রম্য সামাজিক সংকট থেকে মুক্তির নিশানা এঁকেছেন মোহিত কামাল। সাহিত্য সর্বদাই অগ্রগামী চেতনার স্রষ্টা. অপরাধীকে শনাক্ত করার বিশ্লেষণী মাধ্যম। সমাজের মানবিক উত্তরণের পথিকৃৎ মোহিত তাঁর শিল্পচেতনাকে ক্ষুণ্ন করে সাহিত্যকর্ম করেননি. হয়তোবা শিল্পরূপ সৃষ্টির সাধনাকে ছাড়িয়ে সামাজিক সংকট উত্তরণের মাধ্যমও হয়ে উঠতে চেয়েছে তাঁর সাহিত্য। নিশ্চয়ই আমরা তাঁর এই সৃষ্টিপ্রবণতাকে স্বাগত জানাই। লেখক নিজেই আমাদের জানিয়েছেন ‘এ বইটি সমসাময়িক. সাইকোসোশ্যাল প্যাথলজি. মাদক. সন্ত্রাস. সাইবার ক্রাইম. এখনকার ছেলেরা যেসব ফেস করছে. এসব নিয়ে লেখা।...আমি সব সময় কিন্তু সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে লিখছি।’ এ উপন্যাসের কাহিনিতে রাজিব ও সুস্মিতার বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। হবু স্বামী কৌশলে সুস্মিতার কিছু স্থির ছবি ধারণ করে। ফটোশপের মাধ্যমে সুস্মিতার ছবিগুলোকে অশ্লীল পর্নোস্টারের ছবির মতো তৈরি করে পরিবারকে ব্ল্যাকমেল করে। এ রকম এক ঘটনা একটি সমাজকেই ব্ল্যাকমেল করার শামিল। তবে এ উপন্যাসে লেখক একজন সুস্মিতার স্রষ্টা—বাস্তব সমাজজীবনের একজন সুস্মিতাই মানবিক-উত্তরণের নেতৃত্ব দিতে পারে। পথভ্রষ্ট ঘূর্ণির কৃষ্ণগহ্বর উপন্যাসের প্রেক্ষাপট বিস্তৃত হয়েছে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত। এ কয়টা উপন্যাস নিশ্চয় ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রণিধানযোগ্য আর্থসামাজিক আন্তর্জাতিক পটভূমে প্রণীত উপন্যাসের পাঠ; যা বিদ্বৎসমাজের নজর কেড়েছে। এই বিস্তীর্ণ নীলজলধির মাঝে দ্বীপ-দীপান্তরের বৃক্ষশোভিত নদ–নদী-সমুদ্রবেষ্টিত ভূমিগুলোতে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক মানব-মানবীর ভেতর থেকে লেখক তাঁর কলমে এঁকেছেন ঈপ্সিত চরিত্রটি। ‘ব্ল্যাকহোল’-এর মতো ব্যক্তি ও সমাজজীবনকে গ্রাস করে. সমাজজীবনেও মানুষের এমনতর মানবেতর অবস্থা লেখক মোহিত কামালকে গভীরভাবে বেদনায়িত করেছে. যে বেদনা-উৎসব থেকেই রচিত হয়েছে এই দীর্ঘ পটভূমির উপন্যাস। লেখক এভাবে দেশ-কালের সীমানা পেরিয়ে এক আন্তর্জাতিক সাহিত্যভুবন রচনা করেন। আমরা লক্ষ করতে পারি. চেনা বন্ধু অচেনা পথ (২০১১)-এর প্রেক্ষাপট ভার্চ্যুয়াল ওয়ার্ল্ড-ফেসবুক। ঘর (২০১১). অহনা (২০১২). পাথর পরান (২০১৩) আবর্তিত হয়েছে পারিবারিক. সামাজিক ও দাম্পত্য সম্পর্ককেন্দ্রিক কাহিনিমালায়। এসব উপন্যাসের প্রাণরসায়নের উপাদান মনস্তত্ত্ব। সব মিলিয়ে বলা যায়. মনস্ত্বাত্তিক উপাদানের মিশেলে প্রতিনিয়ত এক নতুন ধরনের উপন্যাসের রচয়িতা মোহিত কামাল। ২ জানুয়ারি ছিল এই লেখকের ৬০তম জন্মদিন। তাঁর মঙ্গল কামনা করি।
1,573,162
2019-01-04
অজান্তে অমিত রায়ের স্থানে নিজেকে ভেবেছি
null
null
null
https://www.prothomalo.com/onnoalo/article/1573160/%E0%A6%85%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF
onnoalo
print
1
অন্য আলো
জামিলুর রেজা চৌধুরী। জাতীয় অধ্যাপক ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। শিল্প–সাহিত্যের নানা বিষয়ে আগ্রহ আছে তাঁর। তিনি একজন নিমগ্ন পাঠক. চলচ্চিত্র দেখেন নিয়মিত। তিনি লিখেছেন তাঁর প্রিয় ৫ বিষয়ে। জামিলুর রেজা চৌধুরী। জাতীয় অধ্যাপক ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। শিল্প–সাহিত্যের নানা বিষয়ে আগ্রহ আছে তাঁর। তিনি একজন নিমগ্ন পাঠক. চলচ্চিত্র দেখেন নিয়মিত। তিনি লিখেছেন তাঁর প্রিয় ৫ বিষয়ে। ১. প্রিয় বই ‘শেষের কবিতা’ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম প্রিয় বই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা। সম্ভবত ১৯৫৯-৬০ সালের দিকে বইটি আমি প্রথমবার পড়েছিলাম। তখন আমি বুয়েটে থাকতাম. বয়স ১৬-১৭ বছর। তখন অমিত রায় চরিত্রটি—তার বিলেত থেকে ফিরে আসা. স্যুট পরা. লাবণ্যর সঙ্গে দেখা হওয়া—এই সব বিষয় মনে রোমাঞ্চ সৃষ্টি করেছিল। হয়তো অজান্তে অমিত রায়ের স্থানে নিজেকে ভেবেছি। আমি বেশ কয়েকবার শিলং গিয়েছি। আজও সেখানে গেলে এই উপন্যাসের প্লট এবং চরিত্রগুলো জীবন্ত হয়ে ভেসে ওঠে আমার চোখে। সাহিত্য নিয়ে তুলনামূক বিবেচনায় আমি যাব না। তবে একজন পাঠক হিসেবে বলব. সেই সদ্য কৈশরোত্তীর্ণ বয়সে শেষের কবিতা পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। ২. প্রিয় চরিত্র ইন্দ্রনাথ খুবই সাহসী একটি চরিত্র শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের শ্রীকান্ত উপন্যাসের ইন্দ্রনাথ আমার প্রিয় চরিত্র। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শ্রীকান্তকে ছাপিয়ে ইন্দ্রনাথ চরিত্রটি প্রিয় হওয়ার কারণ সম্ভবত এই যে ইন্দ্রনাথ খুবই সাহসী একটি চরিত্র। ১৯৫৩ সালের কথ। আমাদের বাংলা শিক্ষক শ্রীকান্ত উপন্যাসের কিছু অংশ ক্লাসে পাঠ করে শোনাতেন আমাদের। আর এ কথাও বলতে হবে. শ্রীকান্তু আমার জীবনের প্রথম উপন্যাস. যেটি আমার পাঠ করার সুযোগ হয়েছিল। সেই কিশোর বয়সে—তখন আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি—মনে আছে. উপন্যাসের ইন্দ্রনাথ চরিত্রটি মনে গভীর দাগ কেটেছিল। সে সময় ইন্দ্রনাথের সাহসী কার্যকলাপ আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল বলেই হয়তো পরিণত বয়সে এসেও ইন্দ্রনাথকে আমি ভুলিনি। ৩. প্রিয় গান মৃত্যুর পরেও ভালো কাজের জন্য সবাই যেন তাকে মনে রাখে আমার প্রিয় গানের তালিকা বেশ দীর্ঘ। এই বয়সে এসে প্রিয় গানের কথা যদি বলতে হয় তো বলব. রবিঠাকুরের ‘যখন পড়বে না মোর পা’য়ের চিহ্ন এই ঘাটে’ গানের কথা। গানটি যদিও দুঃখের. তবু ইদানীং এটিই আমি শুনি। কেন শুনি সে ব্যাখ্যা যদি দিতে হয় তাহলে বলব. মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি এই যে সে চায় যেন মৃত্যুর পরেও ভালো কাজের জন্য সবাই তাকে মনে রাখে। জীবনের গোধূলি লগ্নে মানুষ তাই ফিরে তাকায় নিজের ফেলে আসা জীবনপথে. উঁকি দিয়ে দেখতে চায় যাপিত জীবনের অলি-গলিতে। ভাবে অজস্র প্রাণের আসা-যাওয়ার এই ঘাটে যখন তার পায়ের চিহ্ন আর পড়বে না. তখন কি সে বিস্মৃত হবে. নাকি মানুষ তাকে মনে রাখবে? ৪. প্রিয় চলচ্চিত্র কাজল আছে বলেই অপর্ণা নেই আমার প্রিয় চলচ্চিত্র সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার। ছবিটি দেখেছিলাম সম্ভবত ১৯৬১-৬২ সালে। সম্ভবত ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিসে ছবিটি প্রথমবার দেখেছিলাম আমি। ছবিটি আমার মনে দাগ কেটেছিল গভীরভাবে। বিশেষভাবে এখানে বলব অপু চরিত্রটির কথা। যখন ছবিটি দেখি. আমার বয়স ছিল ১৮-১৯ বছর। এই ছবির একটি সংলাপ মনে ভীষণভাবে দাগ কেটেছিল এবং আমার ধারণা. ওই সময় বা এখনো এই সংলাপ দর্শকের মনে দাগ কাটবে। সংলাপটি ছিল: ‘কাজল আছে বলেই অপর্ণা নেই।’ শুধু সংলাপটি শুনে এর গুরুত্ব বা মর্মান্তিকতা উপলব্ধি করা যাবে না. ছবিটি দেখতে হবে. অপুর সংসার দেখতে হবে। ৫. প্রিয় শখ এক ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছি আমার প্রিয় শখ খেলাধুলা। ছাত্রজীবনে বুয়েটে আমি শ্রেণিকক্ষে যতটা সময় দিয়েছি. খেলাধুলায় বোধ হয় তার সমান সময় দিয়েছি। স্কুলজীবনে ফুটবল খেলেছি। মনে আছে. যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম. একবার স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। কিন্তু স্কুলের পরে আর ফুটবল তেমন একটা খেলা হয়নি। তবে আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট। দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলেছি আমি। শিক্ষক হিসেবেও খেলেছি। ক্রিকেটে আমার একটি আন-অফিশিয়াল রেকর্ড আছে—এক ম্যাচে আমি দশ উইকেট নিয়েছিলাম। লেফট আর্ম স্পিন করতাম আমি। এখনকার অনেক ক্রীড়া সাংবাদিক আছেন. যাঁরা আমার বোলিং সম্বন্ধে জানেন।
1,573,160
2019-01-04
ভাড়াটের কষ্ট
রস রচনা
আদনান মুকিত
https://www.prothomalo.com/onnoalo/article/1573157/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F
onnoalo
print
2
অন্য আলো
আপনি চাইলে ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালাদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করতে পারবেন। ১. কড়া বাড়িওয়ালা: যাঁরা ঠিক রাত ১১টায় বাড়ির গেট বন্ধ করে দেন। ২. মোটামুটি কড়া বাড়িওয়ালা: তাঁরা বাড়ির গেট বন্ধ করেন ঠিক রাত সাড়ে ১১টায়। ৩. হালকা কড়া বাড়িওয়ালা: এই শ্রেণির বাড়িওয়ালারা গেট বন্ধ করেন রাত ১২টায়। এই তিন শ্রেণির বাইরেও কেউ কেউ আছেন. তবে তাঁরা বাড়িওয়ালা নন। আপনার–আমার মতোই সাধারণ মানুষ। আপনি হয়তো এই শ্রেণিবিভাগের কথা শুনে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন (আর যদি বাড়িওয়ালা হয়ে থাকেন. তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে ‘কী সব লেখে’ বলে পত্রিকা গুটিয়ে ফেলেছেন)। আসলে কুঁচকানো ছাড়া ভ্রু দুটির তেমন কোনো কাজ নেই। অনেকে পুরো মাথা ন্যাড়া করে ফেলে. কিন্তু রেখে দেয় ভ্রু দুটি। ভ্রু ছাড়া বিরক্তি প্রকাশ করবে কী করে? আমরা যারা ভাড়া থাকি. সাধারণত তাদের প্রতি ভ্রু কুঁচকে তাকান দুজন। বাড়ির দারোয়ান ও স্বয়ং বাড়িওয়ালা। নিম্নলিখিত কারণে দারোয়ানের কুঁচকানো ভ্রু দেখার সৌভাগ্য অর্জন করবেন আপনি— খুব সকালে বাড়ি থেকে বের হলে। কোনো কারণে ভারী মেইন গেটটা খুলতে হলে (যেমন আপনি ফ্রিজ বা আলমারি কিনে এনেছেন. গেট খুলতে হবে। দারোয়ানকে খুঁজেই পাবেন না। আর পেলেও ‘চাবি লইয়া আইতাসি’ বলে কোথায় যেন হারিয়ে যাবেন তিনি)। আপনার কোনো অতিথি এলে (এসব ক্ষেত্রে অতিথি যখন আপনার নাম বলেন. তখন না চেনার ভান করেন দারোয়ান)। সেই অতিথি চলে যাওয়ার সময়। এবং রাতে নির্ধারিত সময়ের পর বাড়িতে এলে। সবগুলো বিরক্তি প্রকাশই নিশ্চয়ই যৌক্তিক। নইলে আমরা এত দিন ধরে মেনে নিচ্ছি কেন (নিচ্ছি কারণ আমরা ভাড়াটে)? বিস্ময়কর হলো. নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট পর এলেই আপনি খেয়াল করবেন. দারোয়ান ঘুমিয়ে গেছেন। যেন গেট বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখও বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের। শুধু আমি না. চোরও দুবার এসে আমার বারান্দা থেকে কাপড়চোপড় চুরি করে নিয়ে গেছে। কিন্তু দারোয়ানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যেতে পারেনি. কারণ তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। পরদিন সকালে ভ্রু কুঁচকে দারোয়ান বলেছিলেন. ‘কাপড়চোপড় রাইতে ঘরে ঢুকায় রাখবেন না? দিনকাল খারাপ!’ বাড়িওয়ালার ভ্রু কুঁচকানোর কথা আলাদা করে বলা কঠিন। সবকিছুতেই ভ্রু কুঁচকানোর বিস্ময়কর ক্ষমতা তাঁদের। ব্যাচেলর. বিবাহিত. তরুণ. কিশোর যা-ই হন. বাড়িওয়ালা শুধু ভ্রু কুঁচকে তাকাবেন। আপনি আমার কথাটা উড়িয়ে দিচ্ছেন তো? একটা উদাহরণ দিলে ঠিকই একমত হবেন আশা করি। একবার গুনগুন করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলাম। বাড়িওয়ালার সঙ্গে দেখা। ভদ্রলোক ভ্রু কুঁচকে বললেন. ‘কোথায় যাচ্ছেন?’ ‘এই একটু হাঁটাহাঁটি করে আসি।’ ‘যান। হাঁটাহাঁটি করা খুব ভালো। তবে. কোনো কমপ্লেন যেন না আসে।...আপনার ভাড়াটে আমার বাসার সামনে হাঁটাহাঁটি করে—এই টাইপ আরকি।’ ‘না না। কী বলেন!’ ‘গুড। আর সিঁড়ি দিয়ে একটু আস্তে ওঠা–নামা করবেন। এমনভাবে হাঁটবেন. যেন শব্দ না হয়। অনেকে বিরক্ত হতে পারে. তাই না? অন্যভাবে নেবেন না. আপনি ছোট ভাইয়ের মতো. তাই বললাম।’ ‘জি. ঠিক আছে।’ সিঁড়িতে নতুন টাইলস বসিয়েছেন. সে জন্য বোধ হয় এই চিন্তা। মানুষের প্রতি মায়া থাক না থাক. টাইলসের প্রতি তো আছে। সেটাইবা কজনের থাকে? সেদিন থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিঃশব্দে ওঠা–নামার অনুশীলন শুরু করলাম। কঠিন কিছু তো না। তা ছাড়া সিঁড়িতে কারও পায়ের শব্দ শুনলে আমারও বিরক্ত লাগে। তো নিঃশব্দে সিঁড়ি দিয়ে নামছি. হঠাৎ আবার দেখা বাড়িওয়ালার সঙ্গে। দেখামাত্র ভ্রু কুঁচকে তাকালেন আমার দিকে। কিন্তু কিছুই বললেন না। পরদিন মা ডেকে বললেন. ‘কিরে. তুই নাকি পা টিপে টিপে সন্দেহজনকভাবে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলি? ব্যাপার কী? কী করেছিস? তোদের জন্য তো সমাজে মুখ দেখানো যাবে না!’ এই হলো ব্যাপার। মাসের প্রথম সপ্তাহটা ছাড়া বাকি সব দিনই ভ্রু কুঁচকে থাকে বাড়িওয়ালাদের। কারণ. প্রথম সপ্তাহেই ভাড়াটা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে তুলে দিই আমরা। বাড়িওয়ালারা সাধারণ মানুষ নন। ঢাকা শহরের মতো একটা জায়গায় যাঁর পাঁচ–দশতলা বাড়ি. তাঁকে সাধারণের কাতারে ফেলব—এত সাহস আমার নেই। সাধারণ মানুষ হলে গেট বন্ধ করা নিয়ে আরেকটু চিন্তাভাবনা তাঁরা করতেন নিশ্চয়ই। যে শহরে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না মতিঝিল থেকে মোহাম্মদপুর যেতে কতক্ষণ লাগবে. সেখানে রাত ১১টায় বাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিতে কঠোর হওয়া লাগে। শুধু তালা নয়. অনেকে তো সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেন বাড়ির দরজায়. ‘রাত ১১টার পর থেকে গেট বন্ধ—আদেশক্রমে বাড়িওয়ালা।’ ধরুন. গভীর রাতে ভূমিকম্প হলো. দ্রুত বাড়ি থেকে বের হতে হবে. তাই না? কিন্তু পারবেন না। গেট তো বন্ধ। ভূমিকম্প হলে প্রথমে যেতে হবে বাড়িওয়ালার কাছে (সাধারণত তাঁরা ভূমিকম্প টের পান না. দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন তো. ঘুম হয় গাঢ়)। চাবি খুঁজে সবাইকে নিয়ে তিনি যখন গেট খুলবেন. ততক্ষণে ভূমিকম্প শেষ. ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনিও। আমার ধারণা. ঢাকার বাসায় ভাড়া থাকলে কবির সুমন গাইতেন. ‘কতটা কঠোর হলে তারে বাড়িওয়ালা বলা যায়...।’ শহরে এমন অসংখ্য দুর্ভাগা আছেন. যাঁরা সপ্তাহে অন্তত তিন দিন অফিস থেকে ৯টা–১০টার আগে বেরোতে পারেন না। অনেকের বাসা থেকে অফিসের দূরত্ব বস থেকে কর্মচারীর দূরত্বের সমানুপাতিক। তার মধ্যে অফিস থেকে বেরিয়ে কতক্ষণ পর বাহন পাবেন. তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় প্রতিটি ভাড়াটে চাকরিজীবীর মাথায় একটা ভয়ংকর চাপ. ‘গেট লাগায় দিবে ভাই।’ কদিন আগে পাঠাও বাইকে করে বাড়ি ফিরছি। রাত পৌনে ১১টা. তবু ভয়ংকর জ্যাম। রাইডার করুণ মুখে বললেন. ‘ভাই. কিছু মনে না করলে আপনি আরেকটা বাইকে চলে যাবেন? আমাকে টাকা দেওয়া লাগবে না। বাসার গেট আটকায় দিবে সাড়ে ১১টায়। আমি পৌঁছাতে পারব না ভাই. প্লিজ।’ তাঁর কষ্টটা বুঝে ওই জ্যামের মধ্যেই নেমে গেলাম। ভদ্রলোক গেট খোলা পেয়েছিলেন কি না. জানি না. তবে আমি পাইনি। ফোন করে বাড়িওয়ালার কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে ভেতরে ঢুকেছিলাম। তালা খুলে ‘ওয়ার্নিং’ দিতে ভুলে যাননি তিনি। তবু আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ. কারণ আমি ভাড়াটে। তিনি এসে তালা খুলে না দিলে রাস্তায় বসে ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে’ ধরনের গান গাওয়া ছাড়া কীই–বা করতাম আমি? তবে একটা ব্যতিক্রমী ঘটনাও ঘটেছিল কদিন আগে। সে রাতেও আমি দেরি করে ফেলেছি। বাস থেকে নেমেই ছুটছিলাম বাড়ির দিকে। এলাকার মার্কেটটা পেরোতেই শুনি পাশের কলাপসিবল গেটে ধাক্কা দিচ্ছে কে যেন। গিয়ে দেখি সেই চেনা মুখ! আমাদের বাড়িওয়ালা! ব্যস্ত ভঙ্গিতে কাকে যেন ফোন দিচ্ছেন বারবার। এই মার্কেটের শেষ মাথায় কিসের যেন একটা অফিস আছে তাঁর। চিন্তিত মুখে তিনি বললেন. ‘দেখো তো. পাশের দোকানটা খোলা আছে না? ওখানে জলিল নামে একজন আছে। ওকে একটু ডাকো।’ ‘কোনো সমস্যা হয়েছে?’ ‘না. মানে অফিসে কাজের মধ্যে ছিলাম. ওরা ভেবেছে আমি চলে গেছি। গাধাটা গেটে তালা দিয়ে দিয়েছে।’ আরেকটি ছুটির ঘণ্টা কেস। পাশের দোকানে গিয়ে দেখি এক বৃদ্ধ শাটার নামাচ্ছেন। জলিল কোথায় জিজ্ঞেস করতেই বললেন. ‘হ্যায় তো গেসেগা।’ দ্রুত বাড়িওয়ালাকে জানালাম সে কথা. ‘আংকেল. জলিল তো নাই।’ ‘নাই মানে?’ চমকে উঠলেন বাড়িওয়ালা। ‘দোকানের বৃদ্ধ আংকেল বলল. উনি চলে গেছেন।’ বাড়িওয়ালার মুখে উদ্বেগের ছাপ. ‘ওই বুড়াকে আমার কথা বলো। বলো যে আমি মানে মকবুল সাহেব (বাড়িওয়ালার নাম) বের হবেন। চাবিটা নিয়ে আসতে।’ ‘জি’ বলেই আমি আবার গেলাম সেই দোকানে। বৃদ্ধকে বললাম। বৃদ্ধ আরও বিরক্ত হয়ে বলল. ‘জলিল তো চাবি দিয়া যায় নাই।’ ‘হায় হায়! এ তো “চাবি মাইরা দিসে ছাইড়া” টাইপ অবস্থা!’ আবার কলাপসিবল গেটের কাছে ছুটে গিয়ে দেখি অস্থির ভঙ্গিতে পায়চারী করছেন বাড়িওয়ালা। বললাম. ‘আংকেল. জলিল ভাই তো চাবি নিয়ে চলে গেছেন।’ বাড়িওয়ালা অসহায় হয়ে বললেন. ‘হায় হায়! কী বলো! বের হব কী করে? ছাগলটা তো ফোনও ধরছে না।’ একটু পর পাশের দোকানের বৃদ্ধ এসে বললেন. ‘কলা–রুটি কিছু দিয়া যামু. স্যার? সারা রাইত না খাইয়া থাকবেন কেমনে?’ বাড়িওয়ালা ধমকে বিদায় করে দিলেন বৃদ্ধকে। আমিও চলে যাচ্ছিলাম. ভদ্রলোক বললেন. ‘ইয়ে. তুমি একটু থাকো না. মানে জলিলের বাসা তো কাছেই। ও চলে আসবে।’ ‘কিন্তু আংকেল. সাড়ে ১১টা তো বেজে গেছে. গেট তো বন্ধ হয়ে যাবে।’ ‘আরে না না। আমি ফোন করে দিয়েছি তো। কোনো সমস্যা হবে না। আর ইয়াংম্যান. এখনই তো রাত করে বাসায় ফেরার বয়স...ইয়ে. তুমি একটু জলিলের নম্বরে কল দেবে? আমারটা ধরছে না।’ আমি খুব চাচ্ছিলাম চলে যেতে। তালা–চাবির চক্করে পড়লে কেমন লাগে. তা বুঝুক বাড়িওয়ালা। কিন্তু তবু আমি বাড়িওয়ালাকে ছেড়ে গেলাম না। কারণ ওই যে. আমি তো ভাড়াটে।
1,573,157
2019-01-04
সরকারে না বিরোধী দলে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত চায় জাতীয় পার্টি
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১১
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573146/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A7%9F
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় পার্টি|এরশাদ|শেখ হাসিনা
• এবার জাপা থেকে ২২ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন • গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নেন জাপার সাংসদেরা• অসুস্থতার কারণে এরশাদ শপথ নিতে পারেননি • শপথের পর জাপার সাংসদেরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন• জাপার সংসদীয় দলের সভায় এরশাদ ছিলেন না• বৈঠকে সরকারে থাকা না-থাকা নিয়ে হট্টগোল হয় • এবার জাপা থেকে ২২ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন • গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নেন জাপার সাংসদেরা• অসুস্থতার কারণে এরশাদ শপথ নিতে পারেননি • শপথের পর জাপার সাংসদেরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন• জাপার সংসদীয় দলের সভায় এরশাদ ছিলেন না• বৈঠকে সরকারে থাকা না-থাকা নিয়ে হট্টগোল হয় সরকারের অংশীদার হবে. না বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে জাতীয় পার্টি (জাপা)—এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীন দলের নেতারা। জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ চান দল এবার বিরোধী দলের ভূমিকা নেবে। তবে দলের নবনির্বাচিত সাংসদদের বেশির ভাগই সরকারের সঙ্গে থাকতে চান। এ অবস্থায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য মহাজোটের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ চেয়েছেন দলের নেতারা। তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন জাপা নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার পর সংসদ ভবনে জাপার সাংসদেরা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। এবার দলটি থেকে ২২ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ শপথ নিতে পারেননি। ফলে সংসদীয় দলের সভায় তিনি ছিলেন না। সংসদীয় দলের বৈঠকে উপস্থিত থাকা জাপার একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়. সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সরকারে থাকা না–থাকা নিয়ে হট্টগোল হয়। রওশন এরশাদ বলেন. যাঁরা আগে মন্ত্রী ছিলেন তাঁরা দলের জন্য খুব একটা উপকারে আসেননি। তাই এবার সরকারে না থাকাই ভালো। একপর্যায়ে নবনির্বাচিত সাংসদ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন. ‘আমরা যদি দলের জন্য কোনো কাজ না করে থাকি তাহলে আমাদের দল থেকে বের করে দেন।’ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের মনোভাবও সরকারের না থাকার পক্ষেই বলে জানান জাপার একটি সূত্র। গতকালের বৈঠকে তিনি বলেছেন. সরকারে যদি থাকতে হয় তাহলে সবাই থাকব. মাত্র কয়েকজন থাকবে না। তাঁর এই বক্তব্যের জবাবে মুজিবুল হক বলেন. ‘দলে আপনার অবদান কী?’ পরে অন্য সাংসদেরা বলেন. মহাজোটের অংশীদার হিসেবে সরকারে থাকতে চান তাঁরা। নির্বাচনের সময় এলাকায় জনগণের কাছে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাওয়া হয়েছে। মহাজোটে থাকলে সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা যাবে। জাপার একটি সূত্র জানায়. বৈঠকের শেষ দিকে রওশন এরশাদ বলেন. অধিকাংশ সংসদ সদস্য সরকারে থাকতে চান। তাই জাপা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারে থাকার। বাকিটা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপার কো–চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন. ‘কে বিরোধী দলে হবে. সেটা সরকার দেখবে। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় চেয়েছি আমরা।’ ১ জানুয়ারি রাতে এরশাদ ‘জাতীয় পার্টির জন্য ভবিষ্যৎ নির্দেশনা’ শিরোনামে সাংবাদিকদের কাছে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানান. তাঁর অবর্তমানে দলের দায়িত্ব নেবেন জি এম কাদের। সরকারে থাকা না–থাকা নিয়ে নির্বাচনের পর থেকেই জাপার উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। গত মঙ্গলবার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সদ্য নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তখন সাংবাদিকদের দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছিলেন. ‘শপথ নেওয়ার পর জাপার পার্লামেন্টারি কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ দশম সংসদে জাপার তিন সাংসদকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এর বাইরে এরশাদকে পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রওশন এরশাদকে করা হয় বিরোধী দলের নেতা। হুইলচেয়ারে আসতে চাননি এরশাদগতকাল সকালে এরশাদ ছাড়া দলের ২১ জন সাংসদ শপথ নেন। তখন সাংবাদিকদের জাপার নেতারা বলেছিলেন. অসুস্থতার কারণে এরশাদ বিকেলে স্পিকারের কক্ষে শপথ নেবেন। কিন্তু বিকেলে জানানো হয়. তিনি শপথ নিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের সাংবাদিকদের বলেন. ‘তিন–চার দিনের মধ্যে তাঁর (এরশাদ) শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। তা না হলে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই শপথ নেবেন পার্টির চেয়ারম্যান।’ জাপা সূত্র জানায়. সংসদ সচিবালয় থেকে গতকাল সকালে এরশাদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখন তিনি বলেছিলেন. আজ (গতকাল) শপথ নিতে আসতে হলে তাঁকে (এরশাদ) হুইলচেয়ারে আসতে হবে। এটি দল ও দেশবাসীর কাছে নেতিবাচক বার্তা দেবে। গত ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য এরশাদ সিঙ্গাপুরে যান. ফেরেন ২৬ ডিসেম্বর। এরপর থেকে তিনি বারিধারার বাসভবনে অবস্থান করছেন। অসুস্থতার কারণে নিজের নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৩ আসনে ভোট দিতে যাননি তিনি। দেশে ফেরার পর পরদিন বাসায় একবার সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি।
1,573,146
2019-01-04
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা লোপাট
ঘটনার দ্রুত তদন্ত হোক
null
null
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573143/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F
opinion
print
2
সম্পাদকীয়:
অল্প কিছুদিন আগেই খবর বেরিয়েছিল সারা দেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের বসবাসের জন্য যে পাকা ভবন বানিয়ে দেওয়া হয়েছে. তাতে বছর না ঘুরতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ‘বীর নিবাস’ নামের একতলা ওই বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে। কিন্তু সেই বাড়ির ছাদ কখন তাঁদের মাথায় ভেঙে পড়বে. সেই আতঙ্কে আছেন তাঁরা। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ করা সুযোগ-সুবিধায় স্বার্থান্বেষীদের কালো থাবার খবর একের পর এক প্রকাশিত হচ্ছে। বীর নিবাসের ফাটলের মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মূল্যবোধেও যে ফাটল ধরেছে. বরিশালের মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা তছরুপ করার মধ্য দিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে. বরিশালের ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার জন্য বরাদ্দ করা ভাতা থেকে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের জন্য প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার নামে ব্যাংক হিসাবে ১৫ হাজার টাকা করে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু জমা হয় ১০ হাজার টাকা করে। বাকি পাঁচ হাজার টাকার কোনো হদিস নেই। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে. তারা এই টাকা ছাড় করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন. তাঁদের হাতে টাকা আসেনি। আর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বলছে. তারা ‘খোঁজ’ নিয়ে দেখবে। ইতিমধ্যে বরিশালে চারজন জেলা প্রশাসক বদলি হয়েছেন। তাই এই টাকা কোথায় গেল. তার উত্তর পাওয়া এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এ ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সঙ্গে তামাশা করারই নামান্তর। এ বিষয়টিকে আর দশটি আর্থিক অনিয়মের মতো করে দেখার সুযোগ নেই। যে সূর্যসন্তানেরা এ দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব এনে দিয়েছেন. তঁাদের সেই ঋণ ভাতা বা কোনো বস্তুগত সম্মাননা দিয়ে শোধ করা সম্ভব নয়। তবু যাঁরা অসচ্ছল এবং জীবনসায়াহ্নে এসেছে দারিদ্র্যে ধুঁকছেন. তাঁদের জন্য কিছু করতে পারার মধ্য দিয়েই জাতি গর্ব করতে পারে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার যে অর্থ খরচ করে. তা জনগণের পকেট থেকে আসে। এটিকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সেই শ্রদ্ধার জায়গাটি অল্প কিছু মানুষের ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে নষ্ট হবে—সেটি কোনো কাজের কথা না। এ বিষয়টি দ্রুত আমলে নেওয়া দরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে একের পর এক প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চলবে. আর ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ’ যথারীতি ‘দেখছি’. ‘তদন্ত হচ্ছে’ বলে ঘটনা আড়াল করায় সহায়তা করে যাবে. এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
1,573,143
2019-01-04
সাংসদদের শপথ
স্থায়ী কমিটিগুলো যেন কার্যকর হয়
null
null
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573142/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A6%A5
opinion
print
2
সম্পাদকীয়:
নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হলো। বিএনপিসহ দেশের প্রায় সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্বে যে আশাবাদ সৃষ্টি করেছিল. নির্বাচনের ফল ঘোষিত হওয়ার পর তা আর থাকল না। কারণ. নতুন সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একচেটিয়া বিজয়ের ফলে দলভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত কম। উপরন্তু বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সাংসদেরা শপথ না নেওয়ায় বহুদলীয় প্রতিনিধিত্বমূলক জাতীয় সংসদের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। প্রতিনিধিত্বশীল. কার্যকর ও ফলপ্রসূ সংসদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রয়োজনীয়তার কথা বললে আমাদের হতাশার কথাই বলতে হয়। কারণ. এ দেশে এমন সংসদ আমরা খুব কম পেয়েছি। যখন সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল. তখনো সংসদ বর্জন. বিরোধীদলীয় সাংসদদের কথা বলার সময় মাইক বন্ধ করা. ঘন ঘন ওয়াকআউট ইত্যাদি কারণে সংসদ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। কোনো কোনো সংসদে কোরাম–সংকট দৃষ্টিকটু পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। সদ্য বিগত দশম জাতীয় সংসদও সত্যিকার অর্থে কার্যকর ও ফলপ্রসূ ছিল না। সেটি ছিল কার্যত বিরোধী দলবিহীন এক জাতীয় সংসদ। এবারও জাতীয় পার্টি সরকার গঠনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগ দিলে আমরা জাতীয় সংসদে একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি দেখতে যাচ্ছি। এর অর্থ কি এই যে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র বিরোধী দলবিহীন সংসদের যুগে প্রবেশ করেছে? রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এ বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার জন্যও এটা খুব জরুরি। জাতীয় সংসদে একটি দলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিকাশের ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে. সে সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সাংসদদের সংখ্যাগুরু অংশ একই দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন বলে সংসদে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে মতভেদ ও তর্ক-বিতর্ক হতে পারবে না এমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। আমরা মনে করি. সংবিধানের ৭০ ধারা বাতিল করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা উচিত। জাতীয় সংসদের প্রধান দায়িত্ব আইন প্রণয়ন ও সরকারের কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা; একাদশ জাতীয় সংসদে এই দায়িত্বের প্রায় পুরোটাই বর্তাবে সরকারি দলের সাংসদদের ওপর। সাংসদেরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁদের আশা-প্রত্যাশার দিকে দৃষ্টি দেবেন—এটা যেমন স্বাভাবিক প্রত্যাশা. তেমনি জাতীয় স্বার্থে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন ও পুরোনো আইনগুলোর প্রয়োজনমাফিক সংশোধনের কাজে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আমরা বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে চাই সরকারি নীতি-কর্মসূচি ও কর্মসম্পাদনের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংসদের কার্যকর ভূমিকা পালনের ওপর। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমরা জনস্বার্থের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপের ওপর জোর দিতে চাই। জনস্বার্থের অনুকূল নয় এমন নতুন আইন প্রণয়ন করা থেকে বিরত থাকা উচিত। বিদ্যমান যেসব আইন বা কোনো আইনের কোনো ধারা বা বিধানের বিরুদ্ধে প্রবল জনমত রয়েছে. আমরা সেগুলো বাতিল বা সংশোধন করার আহ্বান জানাই। এই আহ্বান সরকারি দলের সাংসদদের প্রতিই। নতুন সংসদের সদস্যদের প্রতি আমাদের আহ্বান. বহুনিন্দিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা সংশোধন করার উদ্যোগ নিন। সংসদের অধিবেশনে এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হোক। জাতীয় সংসদকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার একটি কার্যকর উপায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর অবিরাম কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। কার্যত বিরোধী দলহীন জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটিগুলোই শেষ ভরসার স্থল। দুর্নীতির লাগামহীন বিস্তার রোধ করাসহ গুরুতর জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সরকারের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর চাপ অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। আমরা আশা করব. নতুন সংসদের নজরদারিতে নতুন সরকার দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ ও অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে তৎপর হবে।
1,573,142
2019-01-04
‘ডিসকাউন্ট’ অফার!
null
প্রতিনিধি. ফেনী
১৪
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573138/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE
bangladesh
print
2
নির্বাচন|ফেনী|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন অন্য রকম হেনস্তার শিকার হয়েছেন ফেনী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল)। বিষয়টি তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে জানান।জয়নাল আবেদীন জানান. গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন দুটি জাতীয় পত্রিকার ভেতরের পাতায় নামীদামি কোম্পানির মুঠোফোনের ওপর ‘ডিসকাউন্ট’ অফার দিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনে তাঁর বর্তমান ফোন নম্বর এবং আগের একটি নম্বর. যেটি তিনি এখন ব্যবহার করেন না. তা ছাপিয়ে দেওয়া হয়।জয়নাল আবেদীন বলেন. ভোটের দিন সকালে বেশ কয়েকটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন এলেও তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন আসার মাত্রা বেড়ে যায়। তিনি বুঝতে পারেন কেউ তাঁকে হেনস্তা করার জন্য এমন কৌশল গ্রহণ করেছে। এই চক্রটি তাঁকে ভোটের দিন ভোট গ্রহণের কার্যক্রম ও নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে দূরে রাখতে চায়।সেই পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাবেদ ইকবাল বিবিসি বাংলাকে বলেন. ‘নির্বাচনের দিন ভোরবেলা থেকেই বাবার মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে সারাক্ষণ ফোন আসতে থাকে। কলাররা এমন সব ডিসকাউন্টের কথা বলছিল. যার সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। এসব কলের অত্যাচারে আমরা না পারছিলাম নেতা–কর্মীদের কল রিসিভ করতে. না পারছিলাম কাউকে ফোন করতে। পরে একসময় একজন কলারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে জানতে পারলাম পুরো ঘটনাটা।’ জাবেদ ইকবাল বলেন. ‘এবারের নির্বাচনে আমরা নানামুখী চাপের মধ্যে ছিলাম। ভোটের সময় প্রতিপক্ষ নানা ধরনের চাল চেলে থেকে। কিন্তু এ ধরনের কৌশলের কথা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’ দুটি সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেলও বিপুল হারে ডিসকাউন্ট দিয়ে বিক্রি করার কথা বিজ্ঞাপনগুলোতে ঘোষণা করা হয়। জয়নাল আবেদীন বলেন. যে পত্রিকায় ওই বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল. সে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ফোনে জানতে চেয়েও সঠিক কোনো উত্তর পাননি। তিনি এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন. পৃথিবীর কোনো দেশে স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এমন অপকৌশলের নজির আছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি তাঁর প্রায় ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন আর দেখেননি বলে জানান। ঘটনাটি তিনি গতকাল অভিযোগ আকারে ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে জানিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী পেয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ ভোট। আর ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী জয়নাল আবেদীন এবার পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৭৮৪ ভোট।
1,573,138
2019-01-04
গাইবান্ধা-৩ আসনে তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল
null
প্রতিনিধি. গাইবান্ধা
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573135/%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A7%A9-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2
bangladesh
print
2
গাইবান্ধা|রাজনীতি|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় পার্টি|নির্বাচন|আওয়ামী লীগ
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে পুনঃ ঘোষিত তফসিল অনুয়ায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইয়ের দিন। যাচাই–বাছাই শেষে ওই দিন তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। যে তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মো. ইয়াকুবুল আজাদ. জাতীয় পার্টির নেতা মো. মঞ্জুরুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রিগেডিয়ার (অব.) মাহামুদুল হক। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন বলেন. দলীয় মনোনয়ন না থাকা ও ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্র জমা দেওয়ায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। গাইবান্ধা–৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে এ আসনের নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এ কারণে ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এখানে হয়নি। নির্বাচন কমিশন ২৩ ডিসেম্বর এ আসনের পুনঃ তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত পুনঃ তফসিল অনুযায়ী গত বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১০ জানুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ ২৭ জানুয়ারি। তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে। প্রথম দফায় তফসিল ঘোষণার পর সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ইউনুস আলী সরকার. জাতীয় পার্টির (জাপা) দিলারা খন্দকার শিল্পী. জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম. এনপিপির মিজানুর রহমান. ইসলামী আন্দোলনের হানিফ দেওয়ান. বাসদের সাদেকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান. সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে ১৩২টি কেন্দ্রে ১৩২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা. ৭৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ১ হাজার ৫৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭৪৬ জন এবং নারী ২ লাখ ১১ হাজার ১০৮ জন।
1,573,135
2019-01-04
জিএম কাদের ফিরলেন. বাকি দুজন পুনর্নির্বাচিত
লালমনিরহাটের তিনটি আসন
প্রতিনিধি. লালমনিরহাট
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573133/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4
bangladesh
print
2
আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|বিএনপি|লালমনিরহাট|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাতীয় পার্টি|নির্বাচন
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দুজন ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে একজন জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দুজন ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে একজন জয়ী হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনই পেয়েছেন মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দুজন ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে একজন। এবার নিয়ে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন তাঁরা। লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোতাহার হোসেন। তিনি লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালেও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে তিনি এই আসন থেকে টানা চারবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন। তিনি ভোট পান ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬২ এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. হাসান রাজীব প্রধান পেয়েছেন ১২ হাজার ১৫৭ ভোট। লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে জয়ী হয়েছেন নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪২ ভোট পান এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রোকন উদ্দিন ৭৮ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়েছেন। এই আসনের মোট ভোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৮টি। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি এই আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৪৩ ভোট পান এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ৮১ হাজার ৩৯৯টি ভোট পেয়েছেন। জেলায় তিনটি সংসদীয় আসনের মোট ভোটার ৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৪টি ভোট পড়েছে। ভোট পড়ার হার ৮৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪ লাখ ৬১ হাজার ৬০৪. বিএনপি ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৪৯ ভোট. জাতীয় পার্টি ১ লাখ ১৮ হাজার ২৬২ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ২৭ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোট জাতীয় পার্টি ১.১৮.০৬২ বিএনপি ১.৭১.৭৪৯ আওয়ামী লীগ ৪.৬১.৬০৪ অন্যান্য ২৭.৩৫৯
1,573,133
2019-01-04
মন্নুজান সুফিয়ান ও নারায়ণ চন্দ্রের হ্যাটট্রিক জয়
খুলনা-৩ ও ৫ আসন
নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি. খুলনা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573132/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3-%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A7%9F
bangladesh
print
2
খুলনা|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি
১৯৭৯. ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন মন্নুজান। ২০০০ সালের উপনির্বাচনে প্রথম নির্বাচিত হন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ১৯৭৯. ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন মন্নুজান। ২০০০ সালের উপনির্বাচনে প্রথম নির্বাচিত হন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের বর্তমান সাংসদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল থেকে দেখা গেছে. খুলনা-৩ আসনে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬০৬ ভোট (১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ)। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ জন। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৯টি। এর আগে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৫ হাজার ৯৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান খান পান ৬ হাজার ৪২৪ ভোট। আর ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৬৭৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫৮ হাজার ১৭৭ ভোট। এর আগে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একবার সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন. ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সব কটি নির্বাচনেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। খুলনা-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি ৮৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মিয়া গোলাম পরওয়ার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৫৯ ভোট (১২ দশমিক ২১ শতাংশ)। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭০ জন। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৩টি। এর আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়া গোলাম পরওয়ার দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৩১২ ভোট পেয়েছিলেন। এর আগে ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোট প্রার্থীর কাছে ৪ হাজার ৫৪৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। খুলনা-১ আসনে চতুর্থবার সাংসদ হলেন পঞ্চানন বিশ্বাস। এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমীর এজাজ খান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩২২ ভোট (১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ)। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪২০ জন। ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৭টি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খুলনা-১ আসন থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে টেলিভিশন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পান পঞ্চানন বিশ্বাস। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপির প্রার্থীকে তিনি ৩১ হাজার ২৯ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পান ৬৬ হাজার ৯০৪ ভোট। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডলকে পরাজিত করেন।
1,573,132
2019-01-04
মাশরাফিকে মন্ত্রী করার দাবি
null
প্রতিনিধি. লোহাগড়া. নড়াইল
৩৩
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573131/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF
bangladesh
print
2
নড়াইল|নির্বাচন|মাশরাফি বিন মুর্তজা|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন
নবনির্বাচিত সাংসদ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ দাবি জানানো হয়। মাশরাফি নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনের সাংসদ। গতকাল উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সভাপতি শিকদার আবদুল হান্নান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল করিম. মুনশী আলাউদ্দিন. মো. ফয়জুল হক. সৈয়দ মশিয়ূর রহমান. মো. সালেক মুনশী. শেখ সিহানুক রহমান. শিকদার নজরুল ইসলাম. বি এম কামাল হোসেন. বুলবুল শিকদার. এম এম শরিফুল আলম প্রমুখ। বক্তারা বলেন. স্বাধীনতার পরে নড়াইলে কেউ মন্ত্রী হননি। তাই বিপুল ভোটে বিজয়ী বিশ্বজোড়া খ্যাতিমান ক্রিকেট তারকা মাশরাফিকে মন্ত্রী করা হোক।
1,573,131
2019-01-04
একাধিক মন্ত্রী চান ময়মনসিংহবাসী
null
প্রতিনিধি. ময়মনসিংহ
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573130/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80
bangladesh
print
2
নির্বাচন|ময়মনসিংহ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর এবার মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহবাসী তাঁদের জেলার একাধিক সাংসদকে পূর্ণ মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসও দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের দাবি. ময়মনসিংহ অঞ্চল মূলত আওয়ামী লীগের ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে পর একদাশ সংসদ নির্বাচনে আবারও ময়মনসিংহের ১১টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের প্রার্থী সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। ১১টি আসনের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন. আরও দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন জাপার প্রার্থীরা। কিন্তু মন্ত্রিসভায় কখনো ময়মনসিংহের সাংসদেরা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পান না। নতুন মন্ত্রিসভায় তাই ময়মনসিংহের একাধিক সাংসদকে পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন ময়মনসিংহবাসী। এলাকাবাসী যাঁদের মন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা হলেন ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহমেদ. ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের সাংসদ মোসলেম উদ্দিন ও ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সাংসদ রুহুল আমিন মাদানী। গৌরীপুর উপজেলার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন. নাজিম উদ্দিন আহমেদ প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। টানা দুইবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নাজিম উদ্দিন আহমেদকে নতুন মন্ত্রিসভায় দেখতে চান গৌরীপুরের সাধারণ মানুষ। গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বিধু ভুষণ দাস বলেন. নাজিম উদ্দিন আহমেদ প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা। তাঁকে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হলে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ খুশি হবেন। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের সাংসদ মোসলেম উদ্দিনকে নতুন মন্ত্রিসভায় দেখতে চান তাঁর এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন. মোসলেম উদ্দিন ১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়াসহ মোট ছয়বার একই আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রবীণ এ আওয়ামী লীগের নেতাকে তাই মন্ত্রিত্ব দেওয়া মানুষের দাবি। ত্রিশাল আসন থেকে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রুহুল আমিন মাদানী। এ নেতাকেও নতুন মন্ত্রিসভায় দেখতে চান এলাকার মানুষ।
1,573,130
2019-01-04
আট কেন্দ্রে একটি ভোটও পাননি বিএনপির প্রার্থী
null
প্রতিনিধি. মতলব দক্ষিণ. চাঁদপুর
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573128/%E0%A6%86%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চাঁদপুর|বিএনপি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-২ আসনের আটটি ভোটকেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ জালালউদ্দিন একটি ভোটও পাননি। গত রোববার ভোট নেওয়ার পর নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেই ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়। মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়. চাঁদপুর-২ আসনের মতলব উত্তর উপজেলায় ৯৭ ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৫৭টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়। এ দুই উপজেলা মিলে মোট কেন্দ্র ১৫৪টি। এর মধ্যে মতলব দক্ষিণের দুটি ও মতলব উত্তরের ছয়টি ভোটকেন্দ্রে মোহাম্মদ জালালউদ্দিনের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে একটি ভোটও পড়েনি। মতলব উত্তরের ওই ছয়টি কেন্দ্র হলো পাঁচগাছিয়া. রাঢ়িকান্দি. ফৈলাকান্দি ও নবুরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়. দক্ষিণ রাঢ়িকান্দি মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চবিদ্যালয়। মতলব দক্ষিণের কেন্দ্র দুটি হচ্ছে ১৪৬ নম্বর ঘোড়াধারী ও ১৭১ নম্বর উপাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়. ১৫৪টি ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল আমিন নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩ লাখ ১ হাজার ৫০ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ জালালউদ্দিন পান ১০ হাজার ২৭৭ ভোট। জানতে চাইলে মতলব দক্ষিণ ও উত্তরের ইউএনও বলেন. এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির জালালউদ্দিনসহ চারজনই জামানত হারিয়েছেন।
1,573,128
2019-01-04
সাংবাদিক থেকে সাংসদ
null
প্রতিনিধি. চাঁদপুর
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573126/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চাঁদপুর|আওয়ামী লীগ|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে স্বাধীনতার পর এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রথমবার ভোটের মাধ্যমে সাংসদ হলেন তিনি।শফিকুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক নেতাও। তাঁর জয়ে চাঁদপুরের সাংবাদিক সমাজ আনন্দিত। সাংসদ হিসেবে জয়ী হওয়ার পর তাঁকে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে।দলীয় ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়. স্বাধীনতার পর ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত এই আসনে আওয়ামী লীগের কেউ সাংসদ হতে পারেননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। এ বছর এই আসনে শামছুল ও শফিকুর প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পান। পরে শফিকুরকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটের মাধ্যমে শফিকুর এখানে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। রোববার ভোটের পর ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়. শফিকুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ মো. হারুনুর রশীদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৩০ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন। জানতে চাইলে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন. ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হওয়ায় প্রথমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী ও ফরিদগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনে জাতীয় সংসদে গিয়ে আমার সহকর্মী ও বন্ধুদের নিয়ে ফরিদগঞ্জকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পাশাপাশি এই উপজেলা থেকে মাদক দূর করার শপথ নিচ্ছি। সরকার থেকে সুযোগ পেলে সাংবাদিক সমাজের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’ শফিকুরের জন্ম ফরিদগঞ্জের বালিথুবা ইউনিয়নের মিয়াজী বাড়িতে। ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ার সময় থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালে তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। ১৯৭১ সালে শফিকুর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। পরে তিনি যুক্তরাজ্য ও জাপানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর শিক্ষা নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় তিনি ইত্তেফাক-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক। গত ২৭ ডিসেম্বর চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন. ‘সাংবাদিক শফিক আমার সহপাঠী ও বন্ধু। তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। তাকে আমি ডেকে নিয়ে এই আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছি।’
1,573,126
2019-01-04
বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালা. কার্যক্রমও স্থবির
null
একরামুল হক. চট্টগ্রাম
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573125/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|চট্টগ্রাম|পুলিশ|বিএনপি
চট্টগ্রাম বিএনপির রাজনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার হওয়ায় বিএনপির রাজনীতিতে এই স্থবিরতা নেমে এসেছে। ফলে দেড় মাস ধরে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বরে দলটির কোনো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না। কার্যালয়টিতে এখন ঝুলছে তালা। দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে. দলটি নগর কমিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন গত ৭ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা থেকে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম গত ২২ অক্টোবর নগরের জিইসি মোড় থেকে গ্রেপ্তার হন। আবুল হাশেমের সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। তাঁরা সবাই এখন কারাগারে। দলীয় নেতারা আরও জানান. চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সম্পাদকীয় পদের আরও ১৬ নেতা কারাগারে আছেন। ফলে নগর বিএনপির কার্যক্রম দেড় মাস ধরে স্থবির রয়েছে। সংগঠনটির দ্রুত মাঠে নামারও কোনো প্রস্তুতি নেই বলে দলীয় নেতা–কর্মীরা জানিয়েছেন। কারণ. বিভিন্ন মামলায় পুলিশ এখনো ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে। ফলে কেউ রাজনীতির মাঠে আসতে সাহস পাচ্ছে না। কারারুদ্ধ নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম–৯ (কোতোয়ালি–বাকলিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। তফসিল ঘোষণার আগে তিনি গ্রেপ্তার হন। ফলে তাঁর জন্য দলীয় কিছু নেতা–কর্মী কাজ করেছিলেন। মামলা–মোকদ্দমার কারণে পুরো শক্তি নিয়ে শাহাদাতের পক্ষে নেতা–কর্মীরা কাজ করতে পারেনি বলে দলীয় সূত্র জানায়। নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন. নির্বাচনের পর পুলিশ ধরপাকড় বন্ধ করবে বলে নেতা–কর্মীরা মনে করেছিল। কিন্তু মামলা–হামলা বন্ধ হয়নি। বরং নতুন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যাঁরা কারাগারে আছেন তাঁদেরও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির করণীয় কী জানতে চাইলে আবু সুফিয়ান বলেন. ‘সতর্কতার সঙ্গে আমাদের এগোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবেগের বশবর্তী হয়ে কিছু করা যাবে না। তা ছাড়া তাড়াহুড়ো করে আন্দোলনে যাওয়া যাবে না। তবে নির্বাচনে মানুষ বিএনপির পক্ষে ছিল। অনেকে ভোট দিতে পারেনি বলেন সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বিএনপির পক্ষে। তাই মানুষের সহানুভূতি কাজে লাগিয়ে ধীরগতিতে এগোতে হবে আমাদের।’ গত বুধবার বিকেলে দেখা যায়. চট্টগ্রাম নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন চত্বরে দলীয় নেতা–কর্মীদের আনাগোনা নেই। মূল ফটকে বসে অলস সময় কাটছে একদল পুলিশের। কার্যালয়ের মাঠে ক্রিকেট খেলছে কিছু শিশু–কিশোর। আর কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বলেন. কার্যালয়ে নেতা–কর্মীরা এখন আর আসেন না। মাঠে প্রতিদিন বিকেলে ক্রিকেট খেলে আশপাশের শিশু–কিশোরেরা। বিএনপির একাধিক নেতা জানান. নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। পুলিশ কাউকে মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। এমনকি নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন ৪২ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। নির্বাচনের দুদিন আগে তাঁর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। আরেকটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ফলে তাঁর মুক্তি আটকে যায়। একইভাবে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে প্রায় ডজন খানেক মামলা আছে। তাঁকেও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বলেন. ‘নগরে ৬টি থানা এবং ১৫টি ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সম্পাদক কারাগারে। এ ছাড়া নগর কমিটির প্রায় প্রতিটি নেতা মামলার আসামি। মুক্ত পরিবেশে রাজনীতি করার সুযোগ কার্যত বন্ধ। আসলে একটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের। এ রকম পরিস্থিতি আর কখনো বিএনপিকে মোকাবিলা করতে হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই।’
1,573,125
2019-01-04
স্বপনকে মন্ত্রী দেখতে চান জয়পুরহাটবাসী
null
প্রতিনিধি. আক্কেলপুর. জয়পুরহাট
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573124/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জয়পুরহাট|আওয়ামী লীগ
ভোটের মাঠের লড়াই শেষ। নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণও শেষ হয়েছে। এখন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ বাকি। আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল) আসনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান জয়পুরহাটবাসী। জেলার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এই দাবির কথা জানিয়েছেন।নির্বাচনের পর আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে কালাই উপজেলায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সেও তাঁকে মন্ত্রী করার দাবি জানানো হয়েছিল।আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এই আসনে টানা দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদেও রয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান। এই আসনে তিনি বিএনপি থেকে চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন এবং একবার তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। খলিলুরকে বিএনপির ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এবারের নির্বাচনে আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান জামানত খুইয়েছেন। আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তাঁকে ২ লাখ ২ হাজার ৬১৮ ভোটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। খলিলুর রহমান পান মাত্র ২৬ হাজার ১১২ ভোট। এই আসনে আগে কখনো এত বিশাল ভোটের ব্যবধানে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড নেই। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল। ওই দুটি নির্বাচনেও জয়পুরহাট থেকে দলটির প্রার্থীদের কেউই সাংসদ নির্বাচিত হননি। এবারের নির্বাচনে জেলার দুটি আসনেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে এবারই প্রথম ভোটের মাধ্যমে জেলার দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হলেন। ২০১৪ সালে এখানে দলটির দুই প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। জেলা শহরের রিকশাচালক আলম হোসেন বলেন. আওয়ামী লীগ দেশে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আগের তিন সরকারের আমলে জয়পুরহাট থেকে কাউকে মন্ত্রী বানানো হয়নি। এবারের সরকারের মন্ত্রিসভায় জয়পুরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচিত আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে তাঁরা মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। আক্কেলপুর উপজেলা সদরের স্টেশন সড়কের পোশাক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন. সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল উপজেলায় দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁকে মন্ত্রী হিসেবে তাঁরা দেখতে চান। আক্কেলপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নবীবুর রহমান বলেন. ‘এবারের নির্বাচনে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বিপুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার দাবি জানাই।’ আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বলেন. তাঁরা আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তিনি নির্বাচনের আগে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছিলেন।
1,573,124
2019-01-04
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে স্বাগত জানাল জাপান
null
মনজুরুল হক. টোকিও. জাপান
৩০
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573248/%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%A4-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8
bangladesh
online
1
নির্বাচন|বাংলাদেশ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|জাপান
বাংলাদেশে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সব দলের অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে জাপান। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস সচিব তাকেশি ওসুগার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে. দেশের সব কটি প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে জাপান স্বাগত জানায় এবং এই অগ্রগতিকে জাপান সংশ্লিষ্ট সবার চালানো প্রচেষ্টার ফলাফল হিসেবে গণ্য করে। পাশাপাশি হতাহতের বেশ কিছু ঘটনাসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্বেগজনক ঘটনাগুলোকে জাপান দুঃখজনক হিসেবে দেখছে।বিবৃতিতে বলা হয়. বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময়কাল থেকে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুরাষ্ট্র জাপান। তারা আশা করছে. গণতান্ত্রিক অগ্রগতির পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের চালানো প্রচেষ্টায় অব্যাহত সমর্থন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা জাপানের আছে। উল্লেখ্য. বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে জাপানের সরকারি মহল কিংবা সংবাদমাধ্যমের খুব বেশি আগ্রহ লক্ষ করা যায়নি। নির্বাচনের ফল ও ফল নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি এবং অসন্তোষের সংবাদ প্রচার করলেও বিশ্লেষণমূলক কোনো নিজস্ব প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি জাপানের প্রধান সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল।
1,573,248
2019-01-04
সরফরাজের ফিফটির বদলা ডু প্লেসির সেঞ্চুরিতে
null
খেলা ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573247/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%AB%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%A1%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87
sports
online
1
ক্রিকেট|পাকিস্তান|দক্ষিণ আফ্রিকা|টেস্ট ক্রিকেট
সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই দলের অধিনায়ক ইতিহাস গড়েছিলেন। ফাফ ডু প্লেসি ও সরফরাজ আহমেদ দুজনই পেয়েছিলেন ‘চশমা’। প্রায় ১৪২ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে দুই অধিনায়কের দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা এই একটিই। কেপটাউন টেস্টেই ঘটল উল্টো। গতকাল পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেছেন অধিনায়ক সরফরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আজ পেয়েছেন সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের ১৭৭ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ৩৮২ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় দিনেই ২০৫ রানে এগিয়ে স্বাগতিক দল। নবম টেস্ট সেঞ্চুরি করার পরই অবশ্য আউট হয়ে গেছেন ডু প্লেসি। শাহীন আফ্রিদির বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১০৩ রাব। ২ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হারায় হাশিম আমলাকে। দলকে ১৪৯ রানে আউট থিউনিস ডি ব্রুইনও। এরপর ১৫৬ রানের জুটি ডু প্লেসি ও টেম্বা বাভুমার। ৩ রানের মাথায় স্লিপে ক্যাচ তুলেও তৃতীয় আম্পায়ারের সৌজন্য বেঁচে যাওয়া বাভুমা ফিরেছেন ৭৫ রানে। ডু প্লেসি ও কুইন্টন ডি ককের জুটি এনে দিয়েছে ৫১ রান। ডু প্লেসি আউট হয়ে যাওয়ার পর বাকি দিনটা পার করে দিয়েছেন ডি কক ও ভারনন ফিল্যান্ডার। ডি কক অপরাজিত ৫৫ রানে। ফিল্যান্ডারের রান ৬।
1,573,247
2019-01-04
গরু নিয়ে লেজেগোবরে বিএসএফ!
null
অনলাইন ডেস্ক
১০
https://www.prothomalo.com/international/article/1573246/%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F%E0%A6%AB
international
online
1
ভারত|বিএসএফ|পশ্চিমবঙ্গ
ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের সময় জব্দ করা গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সর্বোচ্চ আদালতের এক আদেশের কারণে কসাইদের কাছে নিলামে গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারছে না বিএসএফ। আবার এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে. ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে একটি আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। তাতে বলা হয়েছিল. প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন মেনে জব্দ করা গবাদিপশু বিক্রি করতে হবে। আর এই আদেশেই তৈরি হয়েছে গন্ডগোল। কারণ স্বাভাবিক নিলামে গরু-ছাগল কেনায় অংশ নেন কসাইরা। ফলে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা এড়ানো সম্ভব হয় না। এই কারণে গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারছে না বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে. বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা. কৃষ্ণনগর. বেরহামপুর ও মালদার চারটি সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হেফাজতে প্রায় এক হাজার গবাদিপশু রয়েছে। এদিকে উপযুক্ত দেখভালের অভাবে এসব গবাদিপশুর মৃত্যুও হচ্ছে। গত সপ্তাহেই মারা গেছে প্রায় এক ডজন গবাদিপশু। বিএসএফ বলছে. দক্ষিণ বাংলার গুয়াহাটি এলাকায় কমপক্ষে ৮০০ গবাদিপশু জব্দ অবস্থায় আছে। গত ডিসেম্বরে এই সংখ্যা দেড় হাজারে পৌঁছেছিল। বিএসএফের জন্য এসব গবাদিপশুর দেখাশোনা করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছুসংখ্যক গবাদিপশু স্থানীয় গোশালাগুলো ও কিছু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসী এসব গরু-ছাগল নিতে চান না। গত ডিসেম্বরে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাছে প্রায় দুই হাজার গবাদিপশু হস্তান্তর করে বিএসএফ। এদিকে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা এসব গরু-ছাগল কারও ঘাড়েও চাপাতে পারছে না বিএসএফ। স্থানীয় পুলিশ এগুলো গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে. মামলা না করলে একটি গরু-ছাগলও তারা নেবে না। আর শুধু মামলাই নয়. সঙ্গে দিতে হবে চোরাচালানে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদেরও! তবেই জব্দ গরু-ছাগল নিজেদের হেফাজতে নেবে পুলিশ।
1,573,246
2019-01-04
শতাধিক জার্মান নেতার তথ্য হ্যাকড!
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1573245/%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%A1
international
online
1
ইউরোপ|জার্মানি|হ্যাকিং
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ দেশটির শতাধিক রাজনীতিবিদ বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের কবলে পড়েছেন । একই কাতারে আছেন দেশটির কয়েকজন তারকা ও সাংবাদিক। তবে হ্যাকিংয়ের পেছনে কারা জড়িত. তা এখনো জানা যায়নি। সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন. চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য হ্যাক হয়নি। শুক্রবার জার্মানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরবিবি ইনফো রেডিওর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়. হ্যাক করা তথ্যগুলো অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছিল গত মাসে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বপ্রথম বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়. জার্মানির ‘বিল্ড’ পত্রিকা জানিয়েছে. সব তথ্যই চুরি হয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবরের আগে। প্রতিবেদনে বলা হয়. হ্যাকিংয়ের তালিকায় এএফডিএ ছাড়া জার্মান পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিটি দলের সদস্যরাই আছেন। হ্যাকিংয়ের পর এসব ব্যক্তির বেশ কিছু তথ্য একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা হয়। ফাঁস হওয়া এসব তথ্যের তালিকায় আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চ্যাট. ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেনের তথ্য এবং ব্যক্তিগত ছবি। তবে কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত. তা এখনো বের করতে সক্ষম হয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। যতটুকু জানা গেছে. অ্যাকাউন্টটি হামবুর্গ থেকে খোলা। এর ফলোয়ারের সংখ্যা ১৭ হাজার। তবে ম্যার্কেলের স্পর্শকাতর কোনো তথ্য হ্যাক হয়নি বলে জানিয়েছেন জার্মান সরকারের মুখপাত্র মার্টিনা ফিতজ। তিনি বলেন. চ্যান্সেলর দপ্তর থেকে কোনো সংবেদনশীল কোনো তথ্য প্রকাশ পায়নি। ফিতজ হ্যাকিংয়ের শিকার রাজনীতিকদের প্রসঙ্গে বলেন. এই তালিকায় তাঁদের পার্লামেন্ট সদস্য. দেশটির হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তি ও প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সদস্যরা রয়েছেন। জার্মানির বিচারমন্ত্রী ক্যাটরিনা বার্লে এ হ্যাকিংকে ‘মারাত্মক হামলা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন. ‘এর পেছনে জড়িত ব্যক্তিরা আমাদের গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থা ক্ষুণ্ন করতে চাইছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. ওই টুইটারে ম্যার্কেলের ই-মেইল অ্যাড্রেস ও কয়েকটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে গ্রিন পার্টির নেতা রবার্ট হেবেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে করা চ্যাট ও ক্রেডিট কার্ডের পরিপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়. জার্মানির রাজনীতিবিদেরা এর আগেও হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন। ২০১৫ সালে জার্মান পার্লামেন্টের কম্পিউটার থেকে তথ্য চুরি করতে কয়েক দফা সাইবার হামলা হয়—যার জন্য দেশটি রাশিয়াকে দায়ী করেছিল।
1,573,245
2019-01-04
সৈয়দ আশরাফের দাফন বনানী কবরস্থানে
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573244/%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87
bangladesh
online
1
রাজনীতি|আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ রোববার বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে ওই দিন সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা. দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় জানাজা ও বেলা ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ইদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার আওয়ামী লীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়. শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলীয় নেতারা তাঁর মরদেহ গ্রহণ করবেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ ২১ বেইলি রোডে তাঁর সরকারি বাসভবনে নেওয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার অপেক্ষায় কিশোরগঞ্জবাসী। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শুক্রবার জুমার নামাজের পর কিশোরগঞ্জের সব মসজিদে দোয়া করা হয়। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের টাইমলাইন ভরে গেছে শোকবার্তায়। সবার কথা একটাই. বড় ভালো মানুষ ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। কোনো দলের না. তিনি ছিলেন সবার। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ১৯৯৬ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে টানা পাঁচবার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত জুলাই থেকে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আশরাফ মারা যান।
1,573,244
2019-01-04
মিরাজের মধ্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক দেখেন ক্লুজনার
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573243/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%A8
sports
online
1
ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|মেহেদী হাসান মিরাজ|রাজশাহী কিংস|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
তরুণ এক অধিনায়কে সওয়ার হয়ে এবার বিপিএল-অভিযান শুরু করছে রাজশাহী কিংস। কাল রাজধানীর হাতিরঝিলের মুক্ত মঞ্চে বেশ ঘটা করে মেহেদী হাসান মিরাজকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে মাঠে. মাঠের বাইরে নানা ধরনের চাপ থাকে। সব চাপ সামলে মিরাজ পারবেন সফলভাবে নেতৃত্ব দিতে? ল্যান্স ক্লুজনার ভীষণ আশাবাদী তাঁর তরুণ অধিনায়ককে নিয়ে। রাজশাহী কোচ মিরাজের মধ্যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ অধিনায়কের ছবি দেখছেন. ‘সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়। ও এখনো তরুণ। তবে সে আগেও অধিনায়কত্ব করেছে (বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে)। এটা হচ্ছে তার জন্য আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। আমাদের কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে যারা ওর আশপাশে থাকবে। তারা ওকে সহায়তা করবে। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে আমরা ওকে একটা প্ল্যাটফর্ম করে দিতে চাচ্ছি। কে বলতে পারে ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশের অধিনায়কও হতে পারে।’ মিরাজ কাল বলছিলেন. তাঁর কাজটা অনেক সহজ করে দিতে আছেন কোচ ক্লুজনার। এখন অধিনায়ক-কোচের রসায়নটা জমলে ভালো ফল পেতে পারে ২০১৬ বিপিএলের রানার্সআপরা। রংপুর. ঢাকা. সিলেট. কুমিল্লার তুলনায় রাজশাহী দলে অবশ্য তারকা সমাবেশ কিছুটা কম। মিরাজ. সৌম্য সরকার. মোস্তাফিজুর রহমান. মুমিনুল হকদের মতো স্থানীয় তারকাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ক্লুজনারকে। প্রতিপক্ষ দল তাঁদের তুলনায় কতটা এগিয়ে সেটি নয়. ক্লুজনার ভরসা রাখতে চান নিজের অস্ত্রের ওপর. ‘অন্য দলগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছি না। আমরা কী করতে পারি. নিজেদের ওপরই আমাদের ভরসা থাকবে। অবশ্যই এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত কিছু দল আছে। কোনো ম্যাচই সহজ নয়। আমরা কী করতে পারি. ম্যাচ কীভাবে জিততে পারি. মনোযোগ তাই নিজেদের দিকেই থাকবে।’
1,573,243
2019-01-04
বিএনপি ষড়যন্ত্রের বীজ রোপণের অপচেষ্টা করছে: তথ্যমন্ত্রী
null
অনলাইন ডেস্ক
২১
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573242/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%B7%E0%A7%9C%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%9C-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87
bangladesh
online
1
রাজনীতি|বিএনপি|জাসদ|একাদশ সংসদ নির্বাচন
পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে বিএনপি নতুন ষড়যন্ত্রের বীজ রোপণের অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) খবরে বলা হয়েছে. রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন. নির্বাচন পরিচালনায় নেতৃত্বের সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি নির্বাচন সংক্রান্ত মনগড়া অভিযোগের ফিরিস্তি দিচ্ছে।তথ্যমন্ত্রী বলেন. ‘নির্বাচন পরিচালনায় বিএনপির নেতারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ ও জনবিচ্ছিন্ন ছিলেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির উছিলা খুঁজে গায়েবি শক্তির হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় তারা নির্বাচনের দিকে মন না দিয়ে ষড়যন্ত্রের পথে পা বাড়িয়েছে। এখন পিঠ বাঁচানোর জন্য মনগড়া অভিযোগের আশ্রয় নিয়েছে।’ নির্বাচনে হারলেই ফল প্রত্যাখ্যান বিএনপির পুরোনো রাজনৈতিক বদঅভ্যাস বলে মন্তব্য করে হাসানুল হক ইনু বলেন. এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলও হারা মাত্র প্রত্যাখ্যান করেছিল বিএনপি। জাসদ সভাপতি বলেন. ‘বাংলাদেশ এখনো জঙ্গি-জামাত-যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার ও তাদের দোসরদের হুমকি থেকে মুক্ত নয়।’ তিনি বলেন. দেশকে দুর্নীতি. বৈষম্য ও দেশবিরোধীদের হুমকি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত না করা পর্যন্ত জাসদের সংগ্রাম চলবেই। সাংবাদিকদের নির্ভয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন. ‘কোনো হুমকি এলেই তথ্য মন্ত্রণালয়কে আপনারা অবহিত করুন।’ এ সময় শেখ হাসিনার সরকারকে গণমাধ্যম-বান্ধব সরকার হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি। ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শিরীন আখতার. জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন. নুরুল আখতার. নাদের চৌধুরী. সহসভাপতি আফরোজা হক রীনাসহ জাসদ-এর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা অংশ নেন।
1,573,242
2019-01-04
‘সাকিব দুর্দান্ত এক অধিনায়ক’
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573241/%E2%80%98%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95%E2%80%99
sports
online
1
সাকিব আল হাসান|ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|ঢাকা ডায়নামাইটস|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
ডোপ টেস্ট উত্তীর্ণ হতে না পারায় নিষেধাজ্ঞা জুটেছিল। গত বছর বিপিএল তাই আর খেলা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডারকে আবারও দলে ভিড়িয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল ঢাকা ডায়নামাইটস। ষষ্ঠ বিপিএল শুরু হওয়ার আগে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রাসেল। আর তা করতে গিয়ে দলটির অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। বিপিএল মানেই ঢাকার রাজত্ব। বর্তমানে ডায়নামাইটস নামে খেলা এ ফ্র্যাঞ্চাইজি বিপিএলের শিরোপা জিতেছে তিনবার। গতবার হয়েছে রানার্সআপ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ঢাকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সে দলের সদস্য ছিলেন রাসেল। টি-টোয়েন্টি দুনিয়ায় রাসেলের রাজত্ব অনেক বড়। ভারতের আইপিএল থেকে বাংলাদেশের বিপিএল. অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ আর নিজেদের ক্যারিবীয় লিগ—সবখানেই আছেন। আর বিভিন্ন লিগে বাংলাদেশের সাকিবের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। বিপিএলে সাকিব তো রাসেলের অধিনায়কই। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে বড় সার্টিফিকেট দিয়েছেন রাসেল. ‘সাকিব খুব ভালো অধিনায়ক। আমি ওর সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্স আর জ্যামাইকা তালওয়াশেও খেলেছি। সে খুবই আক্রমণাত্মক খেলে। মাঝে মাঝে একটু রাগী আচরণও করে। অন্য অধিনায়কদের মধ্যেও এটা দেখা যায়। আমরা সবাই পেশাদার খেলোয়াড়। আমরা ব্যাটে বা বলে খারাপ করলে অধিনায়ক কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখাতেই পারেন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যতটা সহজ খেলা যায়। আমি জানি একজন অধিনায়ক হিসেবে সে সর্বোচ্চটাই দেবে।’ এবারের বিপিএল এ স্টিভেন স্মিথ. ডি ভিলিয়ার্স. ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো তারকাদের খেলতে দেখা যাবে। সবাই একবাক্যে বলছেন টুর্নামেন্টের মান বেড়ে গিয়েছে অনেক এবং খেলাও হবে জমজমাট। বিষয়টি মানছেন রাসেলও. ‘খুব প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। কিছু খেলোয়াড় টুর্নামেন্টে বিশেষত্ব এনে দিয়েছে। দিন শেষে তাঁরা মানুষ। কিন্তু আমরা জানি বিশেষ করে ডি ভিলিয়ার্স এবং ডেভিড ওয়ার্নার কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে কত তাড়াতাড়ি তাঁদের আউট করা যায়। তাঁদের বিপক্ষে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা রাখতে হবে। কিন্তু এ টুর্নামেন্টের জন্য তাঁরা খুবই ভালো।’
1,573,241
2019-01-04
‘শক্তির অপপ্রয়োগের প্রমাণ সুবর্ণচরের গণধর্ষণ’
null
প্রতিবেদক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৫
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573240/%E2%80%98%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E2%80%99
bangladesh
online
1
নোয়াখালী|সুবর্ণচর|অপরাধ|ধর্ষণ|চট্টগ্রাম বিভাগ|আওয়ামী লীগ|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন. ‘আমাদের সমাজ কতটা অগণতান্ত্রিক এবং এই নির্বাচনে কীভাবে শক্তির অপপ্রয়োগ হয়েছে. এই ঘটনা তার একটা প্রমাণ। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কতটা নিষ্ঠুর. এই ঘটনা তারও প্রমাণ। প্রত্যাশা করব. আওয়ামী লীগ তার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে মেসবাহ কামাল এ কথা বলেন। সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট’ নামে এক সংগঠন। মেসবাহ কামাল বলেন. ‘নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এই ঘটনা আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলোর একটা। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে. আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং এই ব্যাপারে আইনের যে অপ্রতুলতা রয়েছে. তা সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।’ মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির আহ্বায়ক শিবলী হাসান. সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী. বাংলাদেশ ছাত্রলীগ—বিসিএলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহজাহান আলী সাজু. লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট মারুফ রসূল. সংস্কৃতিকর্মী সানজিদা কাজী. হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য রূপসী চাকমা প্রমুখ বক্তব্য দেন। প্রসঙ্গত. গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে ওই নারীর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাঁকে পিটিয়ে আহত ও ধর্ষণ করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
1,573,240
2019-01-04
বিপিএলে কোটি টাকার খেলোয়াড়েরা সবাই কি এসেছেন?
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573238/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8
sports
online
1
ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
বিপিএলের অতীতের আসরগুলির তুলনায় এবার বড় তারকাদের সমাবেশ একটু বেশিই। কোটি টাকার খেলোয়াড়দের অনেকে চলে এসেছেন। কেউ চলে আসবেন টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পরই নির্বাচনী ডামাডোল। মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা ছিলেন একটু বাড়তি কৌতূহলী। সেটির রেশ কাটতে না কাটতেই প্রাত্যহিক জীবনে নতুন যোগ হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিসিবি অবশ্য খুব একটা ঢাকঢোল পেটাচ্ছে না এবার। অনেকটা নীরবে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিপিএল। সংক্ষিপ্ত বিরতিতে শুরু হয়ে যাওয়া এবারের বিপিএলে নতুনত্ব বলতে যোগ হচ্ছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস). এলইডি স্টাম্প. ড্রোন ও স্পাইডার ক্যামেরা। টুর্নামেন্টটা জমাতে এসব অবশ্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিপিএল জমবে দেশি-বিদেশি তারকাদের উপস্থিতিতে। অন্য বিপিএলের তুলনায় এবার বড় তারকাদের সমাবেশ একটু বেশিই। বিশেষ করে স্টিভ স্মিথ. ডেভিড ওয়ার্নার. এবি ডি ভিলিয়ার্স. ক্রিস গেইল. অ্যালেক্স হেলসের উপস্থিতি বাড়িয়ে দিয়েছে টুর্নামেন্টের জৌলুস। টাকার অঙ্কে প্রত্যেকের দাম স্বাভাবিকভাবেই চড়া। কারও পারিশ্রমিক দুই কোটি টাকা. কারও তিন কোটি। কোটি টাকার খেলোয়াড়েরা কেউ কেউ চলে এসেছেন. কেউ আসবেন টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর। যাঁর খেলা নিয়ে এবার বেশ জলঘোলা হয়েছে. সেই স্টিভ স্মিথ অবশেষে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস সূত্রে জানা গেল. সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ ও সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার তো এসে গেছেন তিন দিন আগেই। আজ সকালেও ক্রিস গেইলকে দেখা যায়নি রংপুরের অনুশীলনে। বিপিএল এ রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে খেলতে আগামীকাল সকালে ঢাকা এসে পৌঁছাবেন ক্রিস গেইল। তবে মারকুটে ব্যাটসম্যান আগামীকালের ম্যাচটি খেলবেন কিনা. তা এখনো নিশ্চিত নয়। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কখন যোগ দেবেন ক্যারিবীয় ওপেনার. ‘ও আজ না হয় কাল আসবে। এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’ পরে জানা গেল. গেইল কাল সকালে নেমেই খেলবেন দুপুরে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচটি। আগেই জানা গিয়েছিল. রংপুরের আরেক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স যোগ দেবেন টুর্নামেন্ট শুরুর কদিন পর। সবশেষ যেটি জানা গেল. প্রোটিয়া তারকা যোগ দেবেন সিলেট পর্ব থেকে। রংপুরের ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলস অবশ্য চলে এসেছেন আগেই। কাল দলের সঙ্গে জন্মদিনের কেকও কেটেছেন। এরই মধ্যে চলে এসেছেন ঢাকার কোটি টাকার তিন ক্যারিবীয় তারকা সুনীল নারাইন. কাইরন পোলার্ড ও আন্দ্রে রাসেল। রাসেল আজ শুনিয়েছেন টুর্নামেন্টে তাঁর প্রত্যাশার কথাও. ‘আমি মনে করি আমাদের একটা ভালো দল হয়েছে। এখনো আমাদের প্রত্যাশা জেতা। খেলোয়াড়দের নতুন শুরু করতে হবে। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমি খেলেছি। নতুন টুর্নামেন্ট. নতুন বছর। শুরুটাও হতে হবে আমাদের ভালো। এগিয়ে যেতে হবে এখান থেকে।’
1,573,238
2019-01-04
ভবন থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
null
প্রতিনিধি. ঢাকা মেডিকেল
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573239/%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%9D%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B9-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0
bangladesh
online
1
অপরাধ|রাজধানী|মতিঝিল
রাজধানীর মতিঝিল থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের ধারণা. শ্বাসরোধে স্বামী তাঁকে হত্যা করেছেন। আজ বিকেল চারটার দিকে আরামবাগের একটি ভবনের ষষ্ঠ তলায় ওই লাশ পাওয়া যায়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে. মারা যাওয়া ওই নারীর নাম শরীফা বেগম (২৫)। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. নয়ন। তাঁদের উভয়ের বাড়ি ময়মনসিংহের কাউনিয়ায়। সন্ধ্যার পর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জালাল উদ্দিন আশপাশের লোকজনের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন. ওই নারী মানুষের বাসায় কাজ করতেন। তাঁর স্বামী নয়ন ময়মনসিংহে রিকশা চালাতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ঢাকায় স্ত্রীর কাছে এসে থাকতেন। গতকাল রাতে তিনি (স্বামী) ঢাকায় আসেন। আজ দুপুরের দিকে চলে যান। এই পুলিশ কর্মকর্তার ধারণা. সকাল থেকে দুপুরের কোনো এক সময় নয়ন তাঁর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান। এসআই জালাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে. ওই নারী যে ভবনের ষষ্ঠ তলায় থাকতেন. সেটি মূলত একটি মেস। সাধারণত গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন. এমন নারীরা সেখানে থাকেন। শরীফা ওই ফ্ল্যাটেরই একটি কক্ষে থাকতেন। সেই কক্ষে মাঝেমধ্যে তাঁর স্বামী এসে থাকতেন। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন. অভিযুক্ত নয়নকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আগামীকাল শনিবার শরিফার মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে।
1,573,239
2019-01-04
‘বড় ভালো মানুষ ছিলেন’
null
প্রতিনিধি. কিশোরগঞ্জ
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573237/%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80
bangladesh
online
1
আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|কিশোরগঞ্জ
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার অপেক্ষায় কিশোরগঞ্জবাসী। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর কিশোরগঞ্জের সব মসজিদে দোয়া করা হয়। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের টাইমলাইন ভরে গেছে শোকবার্তায়। সবার কথা একটাই. বড় ভালো মানুষ ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। কোনো দলের না. তিনি ছিলেন সবার। সৈয়দ আশরাফের স্বজন শাহ আবদুল বাছেত প্রথম আলোকে বলেন. থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে সৈয়দ আশরাফের মরদেহের পাশে রয়েছেন ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম. ছোট বোন জাকিয়া নূর. রাফিয়া নূর ও একমাত্র মেয়ে রিমা ইসলাম। সম্ভবত শনিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ আশরাফের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। রাতে রাখা হতে পারে বারডেম হাসপাতালে। পরে রোববার সকাল ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হতে পারে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে দলের পক্ষ থেকে হতে পারে দ্বিতীয় জানাজা। এরপর মরদেহ কিশোরগঞ্জে আনা হতে পারে। এদিকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) খবরে বলা হয়েছে. বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ আগামীকাল দেশে আনা হবে। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যা ছয়টায় তাঁর মরদেহ দেশে পৌঁছাবে। আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আনোয়ারুল কবির বাসসকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন. ‘আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে এসে পৌঁছাবে। তবে দাফনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ শাহ আবদুল বাছেত আরও বলেন. সৈয়দ আশরাফের মরদেহ দেশে আনা ও অন্য সব বিষয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী রোববার জোহরের নামাজের পর কিশোরগঞ্জ শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হতে পারে। এরপর তাঁর মরদেহ জন্মস্থান ময়মনসিংহে নেওয়া হতে পারে এবং সেখানে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মরদেহ সৈয়দ আশরাফের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরের যশোদল ইউনিয়নের বীরদামপাড়া গ্রামে. নাকি ঢাকার বনানী কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে. সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সৈয়দ আশরাফ ১৯৯৬ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে টানা পাঁচবার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও বিজয়ী হন তিনি। গত জুলাই থেকে তিনি থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সৈয়দ আশরাফ মারা যান। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন. সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ তথা বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁর মতো সৎ ও নির্লোভ আরেকজন রাজনীতিবিদের জন্ম হবে কি না. তা নিয়ে সংশয় আছে। হোসেনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন. সৈয়দ আশরাফ কোনো দলের ছিলেন না. তিনি ছিলেন সবার। তাঁর জন্যই কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সহমর্মিতা ছিল। ছিল না সংঘাত-দ্বন্দ্ব। এ জন্য দলমত-নির্বিশেষে সবাই ব্যক্তি সৈয়দ আশরাফকে পছন্দ করতেন।
1,573,237
2019-01-04
উত্তাল কেরালা. ৮০১ মামলায় গ্রেপ্তার ১৩৬৯
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1573233/%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A7%AE%E0%A7%A6%E0%A7%A7
international
online
1
ভারত|নারী|মন্দির
ভারতের কেরালা রাজ্যের শবরীমালা মন্দিরে তৃতীয় নারী প্রবেশ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে। রাজ্য পুলিশ বলছে. শ্রীলঙ্কার ওই নাগরিক মন্দিরে ঢুকেছেন। তবে শশীকলা নামের ওই নারীর দাবি. তিনি মন্দিরে ঢুকলেও পুলিশের বাধার কারণে আরাধ্য দেবতার দর্শন পাননি। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে. শশীকলা নামের শ্রীলঙ্কার সেই নাগরিকের বয়স ৪৬ বছর। শবরীমালা মন্দিরে এত দিন ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ঋতুমতী কোনো নারী প্রবেশ করতে পারতেন না। তবে সর্বোচ্চ আদালত সম্প্রতি তা খারিজ করে দিয়েছেন। এরপরই গত বুধবার ভোরে মধ্যবয়সী ঋতুমতী দুই নারী প্রশাসনের সহায়তায় শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে প্রার্থনা সারেন। তার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ ও সহিংসতা। এই বিক্ষোভ আজ শুক্রবারও চলছে। লাইভ মিন্টের খবরে বলা হয়েছে. এ পর্যন্ত পুলিশ ১৩৬৯ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মোট মামলা হয়েছে ৮০১টি। অন্যদিকে গত বুধবার শবরীমালা মন্দিরে ঢোকা দুই নারীর নাম বিন্দু ও কনকদূর্গা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন. মন্দিরে ঢোকার সময় সেখানকার কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো বাধা পাননি। দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে. শশীকলা বৃহস্পতিবার রাতে মন্দিরে ঢোকেন। সেখানকার স্থানীয় পুলিশ বলছে. শশীকলাকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি এবং তিনি প্রার্থনা করতে পেরেছেন। তবে শশীকলা বলছেন. পুলিশ তাঁকে বাধা দিয়েছেন এবং তিনি ঢুকেছেন মন্দিরের নিয়ম মেনেই। শ্রীলঙ্কার এই নাগরিকের দাবি. তিনি ঋতুমতী নন এবং এটি নিশ্চিত করতে তাঁর কাছে চিকিৎসকদের সনদপত্রও ছিল। ১৯৯১ সালে দেওয়া কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ থেকে ৫০ বছরের ঋতুমতী নারী ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না। সন্দেহজনক নারীদের মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে বয়সের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হয়। এই প্রথার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ আদালত তার রায়ে সেই বৈষম্য দূর করেন। সেই থেকে একাধিকবার মন্দির দর্শনে গেলেও কোনো ঋতুমতী নারী সফল হননি। গত বুধবার ভোরে প্রথমবারের মতো দুই নারী সেই প্রথা ভাঙেন। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেরালায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বামপন্থীদের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘসহ (আরএসএস) বিভিন্ন ডানপন্থী সংগঠন এই সংঘাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা ও বৈষম্যহীনতার পক্ষে গলা ফাটানো রাজ্য কংগ্রেসও। অবশ্য প্রবল বিক্ষোভের মুখেও অটল আছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেছেন. মন্দিরে নারী প্রবেশে সহায়তা করে সরকার তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেছে। এই দায়িত্ব পালনে সরকার বদ্ধপরিকর।
1,573,233
2019-01-04
আমরা ক্ষুব্ধ. উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত: ড. কামাল
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৬৩
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573231/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%A1.-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2
bangladesh
online
1
ড. কামাল হোসেন|রাজনীতি|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|ধর্ষণ|সরকার|নোয়াখালী
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন. এ ঘটনায় গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার নির্যাতিত হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ. উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কামাল হোসেন বলেছেন. ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর (৪০) ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। জাতি হিসেবে এ ঘটনা সবাইকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনা করা কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিবৃতিতে কামাল হোসেন বলেন. ‘এই ঘটনা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার. মৌলিক মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুখীন করেছে এবং এতে আমরা ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ. উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।’ এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য তিনি দেশের জনগণকে উদ্যোগী হওয়ার জন্য বলেন। তিনি আরও বলেন. এই লজ্জা সমগ্র জাতির। ওই নারী নির্যাতিত নয়. বরং নির্যাতিত হয়েছে গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকার। ৩০ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাঁকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং ধর্ষণ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র ধরে বিবৃতিতে গণফোরাম সভাপতি বলেন. নির্যাতনের শিকার ওই নারী তাঁর নিজ এলাকার একটি ভোট কেন্দ্রে নিজের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে চাইলে. ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সরকার এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে সন্ত্রাসী ধর্ষকদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় কামাল হোসেন দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
1,573,231
2019-01-04
খাবারের মধ্য দিয়ে দুজন মানুষের বন্ধুত্ব
null
বিনোদন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573229/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC
entertainment
online
1
চলচ্চিত্র
‘আহার থেকে আহা রে। আবার আহা রে ইমোশনও।’ নতুন ছবি ‘আহা রে...’র ভাবনা নিয়ে এভাবেই বললেন পরিচালক রঞ্জন ঘোষ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্য কলকাতার হোটেল হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছবিটির টিজার প্রকাশ করা হলো। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ আর ভারতের ঋতুপর্ণা সেনগপ্ত। রঞ্জন ঘোষ আরও বলেন. এই দুজনই খেতে এবং রান্না করতে ভালোবাসেন। খাবার ও রান্নার মধ্যে যে শিল্প আছে. এর প্রতি তাঁরা দুজনই কমিটেড। এটা প্রেমের গল্প তো বটেই. সঙ্গে জীবনযুদ্ধ আর দায়িত্ববোধের কথাও বলা হচ্ছে। ঢাকার এক মুসলিম বাঙালি শেফ এবং কলকাতার এক বাঙালি হিন্দু হোম কুকের দেখা হওয়া নিয়ে এগিয়েছে এই ছবির গল্প। বাঙালি শেফের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ আর হিন্দু হোম কুক ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রঞ্জন ঘোষ বলেন. হিন্দু-মুসলিমের প্রেম শুনলেই আমাদের মনে হয় খুব হিংস্র কিছু হতে চলেছে। কিন্তু সব সময় শুধু ধর্ম প্রেমে সমস্যা সৃষ্টি করে না. পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির জন্যও প্রেমিক–প্রেমিকাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই বার্তাই খাবারের মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে ছবিটি নিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন. ‘প্রেমকে কীভাবে খাবারের মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করতে পারি। আর খাবার মানুষের জীবনে কত বড় একটা জায়াগাজুড়ে আছে. যেখানে খাবারের মধ্য দিয়ে আমরা প্রেমকে ছুঁতে পারি। পরিচালক এখানে প্রেমকে বেশি হাইলাইট না করে প্রেমে কীভাবে পৌঁছাবে. সেটা দেখিয়েছেন। জীবনের কোন কোন দিকগুলো মানুষের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ. সেই জায়গাগুলো আমরা পাই এই ছবিতে।’ তিনি আরও বলেন. ‘২০১৯ সালের শুরুটা যাতে খুব সুন্দরভাবে করতে পারি. সেই চেষ্টা আমাদের ছিল। তাই নতুন বছরে আমরা “আহা রে...” ছবিটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসছি। “আহা রে...” নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন. অনেক আশা। আমি চাই. ছবিটি দর্শকদের কাছে খুব সুন্দরভাবে পৌঁছে যাক।’ ছবিতে তাঁর সহশিল্পীকে নিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন. আরিফিন শুভ দারুণ কাজ করেছেন। আর আরিফিন শুভ বলেন. ‘গল্পটা শুনে আমি প্রেমে পড়ে যাই। কলকাতায় কাজ করা আমার প্রথম ছবি “আহা রে...”। কাজটা সবার ভালো লাগুক. এটাই আশা।’ ‘আহা রে...’ ছবির টিজারে দেখা যায়. নামাজ শেষ। এরপর অ্যাপ্রোন পরে রান্না করছেন এক তরুণ। সরস্বতী পূজার অঞ্জলি শেষ করেছে মেয়েটি। রান্নাঘরে ছড়িয়ে আছে সবজি। তার মধ্যে বসেই রান্না করছে সে। এদিকে এই অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন আরিফিন শুভ। এর সঙ্গে তিনি জানালেন. ভারতে ‘আহা রে’ ছবিটি মুক্তি পাবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ভাবনা আজ ও কাল।
1,573,229
2019-01-04
আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে মামলা
null
প্রতিনিধি. গৌরনদী. বরিশাল
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573219/%E0%A6%97%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%AE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
bangladesh
online
1
অপরাধ|রাজনীতি|বরিশাল|আওয়ামী লীগ
বরিশালের গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার একপক্ষ থানায় মামলাটি করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের ওই সংঘর্ষে আহত হন অন্তত আটজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী. স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে. উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কবির হাওলাদার ও আওয়ামী লীগের কর্মী কেরামত ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নির্বাচনের পর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ নতুন মাত্রা পায়। এ বিরোধের জেরে কেরামত ব্যাপারীর সমর্থক সাইফুল ব্যাপারীর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন গতকাল বিকেলে কবির হাওলাদারের সমর্থক আজগর মৃধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁর স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউপি সদস্য কবির হাওলাদারের সমর্থকেরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা চালান। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান. এই সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন আহত ও একটি বসতঘর ভাঙচুর হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজন হলেন. কেরামত ব্যাপারীর সমর্থক মালেক ব্যাপারী (৭০). আদেল ঘরামি (২৮). ফরিদা বেগম (৩৫). শাহিনুর বেগম (৩৫) ও কবির হাওলাদারের সমর্থক রিজিয়া বেগম (৩০)। আহত বাকি তিনজন কবির হাওলাদারের সমর্থক। আহত লোকজনের মধ্যে মালেক ব্যাপারী ও আদেল ঘরামিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ফরিদা বেগম. শাহিনুর বেগম ও রিজিয়া বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভাঙচুর হয় কবির হাওলাদারের সমর্থক ফারুক ব্যাপারীর বসতঘর। কবির হাওলাদার ও কেরামত ব্যাপারী হামলার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছেন। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন. এ ব্যাপারে কেরামত ব্যাপারী ১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। অপরপক্ষ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
1,573,219
2019-01-04
মুশফিকের আশা. আশরাফুল ভালো খেলবেন
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573217/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8
sports
online
1
মুশফিকুর রহিম|ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|মোহাম্মদ আশরাফুল|চিটাগং ভাইকিংস|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
চিটাগং ভাইকিংসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিক। তাঁর দলে আছেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বিপিএলে ফেরা আশরাফুল। মুশফিকের আশা. আশরাফুলের সেরাটাই পাওয়া যাবে এ টুর্নামেন্টে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ আশরাফুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফিরতে পারবেন কি না. সেটি এখনই বলার উপায় নেই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ প্রকারান্তরে তাঁর পাওয়া হচ্ছে এই বিপিএল দিয়েই। স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে নিষিদ্ধ থাকায় পাঁচ বছর খেলতে পারেননি এই টুর্নামেন্ট। বিপিএলে অবশেষে ফিরেছেন আশরাফুল. তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মুশফিক এবার নেতৃত্ব দেবেন চিটাগংকে। অধিনায়ক হিসেবে আশরাফুলকে নিয়ে তাঁর আশা অনেক. ‘তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট অন্যান্য পর্যায়ে ভালো করেছেন। তিনি আশা করি এবারও ভালো খেলবেন। তিনি ভালো খেললে সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই ভালো।’ বিপিএলে আগেও অধিনায়কত্ব করেছেন মুশফিক। টুর্নামেন্টের শুরু কিংবা মাঝ পথে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ারও উদাহরণ আছে। ২০১৩ বিপিএলে দুরন্ত রাজশাহীর অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের মাঝ পথে। আর গতবার তো টুর্নামেন্ট শুরুর আগ মুহূর্তে বললেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়কত্ব করবেন না। এবার আবার চিটাগংয়ের নেতৃত্ব পেয়েছেন। মুশফিকের চাওয়া. এবার দায়িত্বটা ভালোভাবে শেষ করা. সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া. ‘এটা সম্মানের ব্যাপার. উপভোগের ব্যাপার। একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও বটে। প্রত্যাশা বেশি থাকে। দলের মালিকপক্ষ বা সমর্থকদের পক্ষ থেকেও চাপ থাকে। অনেক দিন পর দায়িত্ব এসেছে। চেষ্টা করব পারফরম্যান্স দিয়ে চিটাগংকে গত টুর্নামেন্টের চেয়ে ভালো একটা ফলাফল এনে দেওয়ার।’ তবে আপাতত মুশফিকের চোখে কালকের ম্যাচে। মাশরাফির রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাঁদের বিপিএল-অভিযান। উদ্বোধনী ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করতে চান চিটাগং অধিনায়ক. ‘এটা যেহেতু প্রথম ম্যাচ. সবাই চাইবে ভালোভাবে শুরু করতে। আমরাও তা-ই চাই। যাদের সঙ্গে খেলব. তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। সেটা ঠিক আছে কিন্তু এবার কিন্তু সবাই নতুন করে শুরু করবে। কাগজে-কলমে আমাদের দলটা অতটা শক্তিশালী না হলেও আমাদের কিন্তু কয়েকজন কার্যকরী টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় আছে। যাদের নিয়ে আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ শুরু করতে পারব বলে আত্মবিশ্বাসী। শুরুটা তাই গুরুত্বপূর্ণ। এটাতেই আপাতত মনোযোগ।'
1,573,217
2019-01-04
‘বিপিএল খেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হয় না’
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573214/%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E2%80%99
sports
online
1
মাশরাফি বিন মুর্তজা|ক্রিকেট|বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
বিপিএল শেষেই নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এর পর মে মাসের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে বসবে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ২ জুন। সামনে সময় আছে বেশ। কিন্তু বিপিএল এর মাঝেও বিশ্বকাপ প্রসঙ্গটা প্রতিদিনই ওঠে। রংপুর রাইডার্সের অনুশীলনে দলীয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে আজও কথা বলতে হয়েছে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ নিয়ে। বিপিএল ও বিশ্বকাপের মধ্যে পার্থক্যটা বিশাল। প্রথমত বিপিএল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট আর বিশ্বকাপ ৫০ ওভারের খেলা। তাই বিপিএল দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়েছেন মাশরাফি. ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা ভালো খেলছে। এমনকি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিও যদি লক্ষ্য করেন. এখন জাতীয় দলে যারা খেলছে. ভালো খেলছে। এখন তরুণ খেলোয়াড় যারা উঠে আসছে তাদের একটা ভালো একটা সুযোগ আছে। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য মনে হয় না এই টুর্নামেন্টের প্রয়োজনীয়তা একেবারেই আছে। কারণ প্রথমত ফরম্যাট ২০ ওভারের। বিভিন্ন সময়ে যারা ব্যাটিংয়ে যাবে তাদের পরিস্থিতি ওইরকম থাকবে না. বোলারদের পরিস্থিতিও ওইরকম থাকবে না। এটার সঙ্গে ৫০ ওভার মেলানো কঠিন।’ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্ব থাকছেন মাশরাফির. এ কথা দৃঢ়ভাবে বলাই যায়। বিশ্বকাপের কন্ডিশনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি. ‘আপনি যদি কন্ডিশন ধরেন. এখানে (বিপিএল) এমনি রান কম হয়. ইংল্যান্ডে সেখানে সাড়ে তিন শ অথবা ৩২০. ৩৩০ হবে। বরং বলতে পারেন নিউজিল্যান্ড থেকে আমাদের ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হতে পারে।’ এবারের বিপিএলে ডি ভিলিয়ার্স. স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো তারকাকে খেলতে দেখা যাবে। গত বিপিএলে উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। ব্যাটসম্যানদের অনেক ভুগিয়েছে মিরপুরের উইকেট। কিন্তু এবার ভালো খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে মান বাড়বে বলে মনে করেন মাশরাফি. ‘টুর্নামেন্টের শক্তি দেখলে হয়তোবা আমাদের উইকেট ওরকম (রান উৎসব) সাপোর্ট করে না অনেক সময়। মানুষ চায় বড় রান দেখতে। ১৮০. ১৯০ বা ২০০ রান যখন তাড়া করা যাবে তখন টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতা অনিবার্য। উইকেট একটা বিষয়। চট্টগ্রামে খেলা হলে দেখবেন ব্যাটসম্যান. বোলার সবাই এনজয় করে। ওই চ্যালেঞ্জটা থাকে। কিন্তু এবার কিছু ভালো খেলোয়াড় এসেছে। আগেরবার যারা এসেছে তার থেকে কোয়ালিটি এবং বিশ্বক্রিকেটের ইনফর্ম খেলোয়াড়রাও এখানে আছে। হয়তো বা টুর্নামেন্টের গ্রাফটা ওপরের দিকে যাবে আশা করছি।’
1,573,214
2019-01-04
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক ফখরুলের
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৬৯
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573213/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A0%E0%A6%95-%E0%A6%AB%E0%A6%96%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0
bangladesh
online
1
রাজনীতি|বিএনপি|মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সকালে মিলারের বাসায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতারা সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। সাংবাদিকেরা বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো উত্তর দেননি।গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে জেএসডির সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন. সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যাবে। তিনি বলেন. ক্ষমতাসীনেরা সবকিছু গায়ের জোরে করছে। সাধারণ মানুষ ভোট দেখেছে. তারাই এর প্রতিবাদ করবে। সামনে কী করণীয়. তখন সেটি নির্ধারণ হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে নির্বাচনের দিন থেকে ‘ভোট কারচুপি. অনিয়ম ও ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ করে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
1,573,213
2019-01-04
সুবর্ণচরের সেই নারীকে দেখতে যাচ্ছেন ফখরুলরা
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
২৭
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573212/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AB%E0%A6%96%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%B0%E0%A6%BE
bangladesh
online
1
রাজনীতি|নোয়াখালী|ধর্ষণ|বিএনপি|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ধর্ষণের শিকার সেই নারীকে দেখতে যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। কাল শনিবার সকালে তাঁরা নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হবেন।বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন. জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর. জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব. নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আগামীকাল শনিবার নোয়াখালী যাবেন। সকাল সাতটায় গুলশান বিএনপি অফিস থেকে তাঁরা রওনা হবেন।সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী (৪০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সেখানেই যাবেন। তাঁদের কালই ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে ওই নারীর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাঁকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারীর পরিবার জানায়. ভোটকেন্দ্রে কথা-কাটাকাটির জেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
1,573,212
2019-01-04
মাশরাফি বলছেন রাজনীতিবিদ নয় খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে
null
ক্রীড়া প্রতিবেদক
১৭
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573209/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9C-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87
sports
online
2
মাশরাফি বিন মুর্তজা|ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|রংপুর রাইডার্স|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
কদিন আগে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজার সময় হয়েছে রাজনীতিক পরিচয়টা পাশে রেখে খেলায় মনোযোগী হওয়ার। গত বার তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর রাইডার্স। এবারও তাঁর আশা গতবারের পুনরাবৃত্তি করা। নির্বাচন শেষে ঢাকায় এসে গত কদিন এক সঙ্গে দুটি কাজ করতে হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। সকালে রাজনৈতিক কার্যক্রম তো বিকেলে মাঠে অনুশীলন। মাশরাফি যে দুটিই এক সঙ্গে পারেন. সেটি দেখিয়েছেন। তবে কাল থেকে তিনি শুধু একটি পরিচয়েই থাকতে চান. শুধুই খেলোয়াড়।নড়াইল থেকে আসার পর থেকেই সাংসদ হিসেবে অভিনন্দন পাচ্ছেন সবার কাছে। নির্বাচনের রেশ এখনো পুরোপুরি কাটেনি। রাজনৈতিক পরিচয়টা সাময়িক সরিয়ে খেলার মাঠের নেতা হিসেবে আবারও শুরু করা একটু হলেও যে কঠিন মাশরাফি. সেটি মানছেন. ‘একটা থেকে আরেকটায় আসা এই সময়টা খুব কঠিন। খুব দ্রুত. সংক্ষিপ্ত সময়ে এটা করতে হচ্ছে। তবে আমি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন দেখা যাক।’সাংসদ হিসেবে প্রথম খেলতে নামছেন। রাজনৈতিক পরিচয় পাশে রেখে খেলায় যেন পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারেন. মাশরাফির তাই অনুরোধ এবার যেন সবাই তাঁকে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে দেখে. ‘অন্য সময় যেভাবে খেলি. সেভাবেই খেলব। খেলোয়াড় হিসেবেই এখানে আমি পরিচিত এবং মাঠেও নামছি খেলোয়াড় হিসেবে. সংসদ সদস্য হিসেবে না। আমি আশা করি আপনারা সবাই আমাকে সেভাবেই দেখবেন।’এখনো পর্যন্ত যে পাঁচ বিপিএলে খেলেছেন চারটিতেই হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন। চারবার শিরোপা জিতেছেন তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে। সাফল্যের এই রহস্যটা কী. আগেও বিচ্ছিন্নভাবে নানা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আজ আরেকবার বললেন. ‘আগের বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি. প্রতিবারই এ চাপ নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করি। গতবার ছাড়া প্রতিবারই আমাকে এই চাপ নিয়ে শুরু করতে হয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নের সব সময়ই আলাদা একটা চাপ থাকে। আপনি যে ভালো দল গুছিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবেন এই সংস্করণে. এই নিশ্চয়তাও নেই। কাল থেকে আমাদের খুব ভালোভাবে শুরু করতে হবে। খারাপও হতে পারে। গতবার আমরা শুরুর দিকে হারছিলাম। পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ওই মানসিকতা থাকতে হবে। নির্দিষ্ট কোনো রেসিপি নেই। অনেক জায়গার প্লেয়ার আসে. এখানে বন্ধনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক সঙ্গে থাকা . এক সঙ্গে সবকিছু করা। এই ধরনের টুর্নামেন্টে এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ তবে মাশরাফি আশাবাদী তাঁর দলটা এবার দুর্দান্ত হয়েছে। দলে যে আছেন ক্রিস গেইল. এবি ডি ভিলিয়ার্স. অ্যালেক্স হেলসের মতো বড় তারকা। তবে এটি তাঁকে মোটেও অতি আত্মবিশ্বাসী করছে না. ‘এবার আমাদের দলটা ভালো. ভারসাম্যপূর্ণ। বোলিং বিভাগ একটু ঠিক রাখতে হবে। এখনো সব খেলোয়াড় আসেনি। আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি. একটা প্রত্যাশা তো আছে। গতবারের চেয়ে দল আরও ভালো বলে মনে হচ্ছে। আত্মবিশ্বাস থাকতেই হবে। তবে অতি আত্মবিশ্বাস নয়। নতুন করে টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে. নতুন চ্যালেঞ্জ।’ টুর্নামেন্টে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স কত দূর যাবে. সেটি নিয়ে পরে ভাবলেও চলবে। আপাতত তাদের ভাবতে হচ্ছে চিটাগং ভাইকিংসকে নিয়ে। রংপুর-চিটাগং ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়ে যাবে বিপিএলের ষষ্ঠ সংস্করণ।
1,573,209
2019-01-04
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস: আম্মার ঘরে কী ফেলে এসেছিলেন?
null
ফারুক ওয়াসিফ
২৭
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573207/%E0%A6%86%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8
opinion
online
2
ফারুক ওয়াসিফ|স্মরণ|বগুড়া
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সঙ্গে প্রথম দেখা বৃষ্টির সন্ধ্যায়. শেষ দেখা কবরস্থানে. তখন তাঁর মুখটা ঢাকা। বগুড়ায় শুরু. বগুড়াতেই শেষ। তাঁর সঙ্গে স্মৃতি কম বলেই হয়তো সবটাই অমূল্য মনে হয়. সবটাই মনে থাকে। ১৯৯৪ সাল। তখন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছি। বাম ছাত্র রাজনীতি ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী সাহিত্যকর্ম. দুটোতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। ফলে বিস্তর আড্ডা হতো। বন্ধুমহল. পার্টি মহল সেরে আসতাম পড়ুয়ায়। বগুড়ার থানা রোডের এই বইয়ের দোকানটি আর যথাস্থানে যথাভাবে নেই. অথচ একসময় এটাই ছিল উত্তরবঙ্গের শাহবাগ. বগুড়ার আজিজ সুপার মার্কেট। কে না আসতেন সেখানে? এ রকম এক আড্ডায় শিক্ষক ও সাহিত্যগুরু শোয়েব শাহরিয়ার বললেন. ‘এই ফারুক. জানো নাকি. ইলিয়াস ভাই আসছেন।’ বললাম. তাই নাকি? আমি দেখা করব। স্যার বললেন. ‘তুমি কাল সন্ধ্যায় ইলিয়াস ভাইয়ের বাসায় আসো. আমিও আসব।’ সাতমাথা থেকে বামে নবাববাড়ি হয়ে জেল রোডের মোড়ে একটা ছোট্ট সড়কদ্বীপ। তার বামে একটা চৌচালা বাংলো বাড়ি দেখতাম। সামনে পাতাবাহার গাছসমেত পুরোনো বাড়ি। সেটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ওরফে মঞ্জুদের বাড়ি। তিনি তখন ঢাকা কলেজের শিক্ষক। মাঝেমধ্যেই বগুড়া আসতেন ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাস লেখার কাজে। পুরোনো বাড়িটার পেছনেই ছিল তিন কি চারতলা এক হলুদ দালান। সেটাও ইলিয়াস পরিবারেরই বাড়ি। বাড়িটার নাক বরাবর গেলে জেলখানা ও স্টেশন ক্লাব পেরিয়ে মরা করতোয়া নদী। না জেনেই কত বছর সেখানে আড্ডা দিয়েছি। পরে বুঝেছি. তাঁর নিরুদ্দেশ যাত্রা গল্পের বাড়ি. রাস্তা এবং মৃত্যুদৃশ্যটা বাড়ির সামনের এই রাস্তারই। পরদিন সন্ধ্যায় খুব ‘মনোরম মনোটোনাস’ বৃষ্টি। তার মধ্যে হাজির হলাম সেই হলুদ বাড়িতে। তত দিনে ইলিয়াস সম্পর্কে আমি কিছুটা জানি। তাঁর গল্পের বইগুলো পড়েছি. ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসও পড়া। আমার মধ্যে অন্য আরেক ভাব। ছাত্র ফেডারেশন নামে যে সংগঠনটির শাখা আমি প্রথম বগুড়ায় খুলেছি. সেটা আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সংগঠন সেই বাংলাদেশ লেখক শিবির একই জোটের সদস্য। ইতিমধ্যে আমারও কয়েকখানা গল্প কামরুল হুদা পথিক ও সরকার আশরাফ সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন ‘দ্রষ্টব্য’ ও ‘নিসর্গে’ বেরিয়েছে। হলুদ বাতির সেই সন্ধ্যায়. ইলিয়াসদের বৈঠক ঘরে এই পটুভূমিতে ভাবছি. কী বলব তাঁকে? শোয়েব শাহরিয়ার স্যার এখনো আসছেন না কেন? এর মধ্যে ইলিয়াস এলেন। মোটা ফ্রেমের চশমা. বাসার পোশাক পরা. হাতে সেই বিখ্যাত পাইপ আর দরাজ গলা। জানতে চাইলেন কী করি। বলা হলো। কথায় কথায় উনি বললেন. ‘তোমার গল্পগুলো পড়তে দেবে? আমি পড়তে চাই।’ বালকের প্রথম অহংবোধ আমাকে মনের ভেতর খাড়া করে ফেলল। বলে ফেললাম. ‘আমরা তো আপনার লেখা খুঁজে খুঁজে পড়ি। আমার লেখা যদি সত্যিই পড়তে চান তাহলে আপনিও খুঁজে নেবেন। আজিজ মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় পত্রিকাগুলো পাওয়া যায়।’ এমন কথায় অন্য কারও হয়তো ভ্রু কুঁচকে যেত। কিন্তু ইলিয়াসের কণ্ঠে অগাধ প্রশ্রয় আর আগ্রহ। বললেন. ‘আলবৎ! তাই তো. তাই তো. আমি অবশ্যই খুঁজে নিয়ে পড়ব।’ তারিফ করতে করতে এ গল্পটা উনি ঢাকায় এসে অনেককে করেছিলেন। এক উঠতি তরুণের আত্মশ্লাঘাকে স্বীকৃতি দিয়ে তিনি আসলে লেখকের আত্মমর্যাদাবোধেরই জ্বালানি জুগিয়েছিলেন সেদিন। আরেকবারের কথা। পড়ুয়ার উল্টোদিকে শ্যামলী রেস্টুরেন্টে আড্ডা হচ্ছে। কবি শোয়েব শাহরিয়ার. সাহিত্য সমালোচক ও গল্পকার বজলুল করিম বাহার. কথাসাহিত্যিক সাজাহান সাকিদার—এঁরা ছিলেন। তরুণদের মধ্যে কবি শিবলী মোকতাদির. মান্নান আরজুরা ছিলেন। রাত প্রায় ১০টায়ও সেই আড্ডা আর ফুরায় না। সবাই মিলে জেলরোডের দিকে হাঁটা দিলাম। ইলিয়াস ভাইকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। সুনসান শীতের রাতে বাংলা সাহিত্য সদরঘাটের লঞ্চের মতো গুঞ্জন করতে করতে চলছে। মাঝেমধ্যে লঞ্চের ভেঁপুর মতো ইলিয়াসের সেই বিখ্যাত হো হো হাসি—পল্টনের লেখক শিবিরের আড্ডায় যে হাসি ফাটলে নাকি ফুলার রোডের গোমড়া শিক্ষকেরাও চমকে উঠতেন। তো. আমরা তাঁর বাড়ির কাছাকাছি এসেছি. এমন সময় পেছন থেকে একটা চিৎকার ভেসে এল. ‘ক্যা রে মঞ্জু উ উ’। মঞ্জু ফিরে তাকায়। জেলখানা রোডের অন্ধকারে. গলির ভেতর থেকে মূর্তির মতো এগিয়ে আসে একটা ঢ্যাঙা চেহারার মানুষ। বয়স বোঝা যায় না. চল্লিশও হতে পারে. পঞ্চাশও হতে পারে। কাছে এসে হাত রাখে মঞ্জুর ঘাড়ে। ‘ক্যা রে. কবে অ্যালু. খবর পানু না!’। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘কাপুরুষ’ উপন্যাসের স্পাই আর সন্ত্রাসবাদী দস্যু ছোটবেলায় ছিল গলাগলি বন্ধু। স্পাইটির নাম ছিল রূপা। শৈশবের মাঠে দস্যুটি বন্ধুকে ডাক দিত: ‘রূপা বেন গাড়া রে!’ বন্ধুর ডাকে ইলিয়াস মঞ্জু হয়ে গেলেন। জলেশ্বরীতলার শুরুতে যেখানে ইলিয়াসদের বাড়ি. তার আগেই কালীবাড়ি মোড়। সেখানেই ছিল এই বন্ধুটির বাড়ি। আধা অপ্রকৃতিস্থ মানুষটিকে পরেও দেখেছি। এক একা হাঁটতেন আর বিড়বিড় করতেন। কেন যেন মনে হয়. ওই চরিত্রটির মধ্যে ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’ গল্পের প্রদীপের ছায়া পাওয়া যায়। শেষের দিকে...হায়. তখন কে জানত যে শেষের দিকটা কাছে চলে আসছে? শেষের দিকে ‘খোয়াবনামা’ লেখার কাজে খুব ঘুরতেন বগুড়ার গাবতলী থানার কাৎলাহার বিল. গোলাবাড়ি. মহিষবাথান. চন্দনবাইশা. ধুনট. মহাস্থান এসব জায়গায়। সারা দিন ঘুরতেন. সন্ধ্যায় দেখতাম ওই চৌচালা বাংলো বাড়ির বৈঠকখানায় গল্প করতে করতে এক হাত দিয়ে ডান ঊরু টিপছেন। খুব ব্যথা হতো। তখনো পায়ের ক্যানসারটা ধরা পড়েনি। টাইপরাইটারটা সঙ্গেই থাকত। আরেক ঘরে বসে কখনো কখনো লেখার খটাখট শব্দ পেতাম। গোলাবাড়ী বাজারে তাঁদের এক আত্মীয় নাকি জিন নামাতে পারেন। তার গল্প হতো। গাবতলীর বিখ্যাত পোড়াদহের বিলের গল্প হতো। এসবই ছিল তাঁর ‘খোয়াবনামা’ লেখার রসদ। অনেক ঘুরেছেন তিনি। ঘুরতে ঘুরতেই ডান পা-টা ক্যানসারে কাটা পড়ল। আমার কেবল তাঁর পায়ের কথা মনে আসে। তিনি সেই ধরনের লেখক. যাঁদের মনের চোখকে প্রভাবিত করে তাঁদের পা। জোড়া পায়ে তাঁরা লোক-লোকান্তরে. গ্রাম-গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়ান। পায়ে পায়ে তাঁরা চলে যান সেই কিনারে যেখানে জীবন ‘অনাগরিক’. ‘অসুশীল’ আর প্রকৃতি প্রায় ‘বুনো’। কিংবা এই রাজধানী. সভ্যতার এই বাংলাদেশি কেন্দ্র. তার জনসমতলেও অনেক ঘুরেছেন তিনি। পুরান ঢাকা থেকে শুরু করে যমুনার চর. সাতক্ষীরা-বরিশাল থেকে তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড়—সব পথের ধুলা তাঁর পায়ে লেগেছে। সেই ধুলা জানিয়েছে সামান্য মানুষের বাঁচা-মরার অসামান্য ইতিহাস। সেই সব জানা থেকে সাহিত্য হয়. শিল্প হয়। সেই সুবাদে তাঁর সটান পা জোড়ার হাঁটাহাঁটির কথা মনে পড়ে। লেখক শিবিরের সংগঠক হিসেবে জেলায় জেলায় সফর করেছেন. চলে যাচ্ছেন আরও ভেতরে. পাকা সড়ক আর বিদ্যুতের খুঁটি ছাড়িয়ে আরও ৪০-৫০ মাইল ভেতরে। কখনো কারও মোটরসাইকেলের পেছনে বসে. কখনো বা নৌকায়। পা তাঁকে টেনে নিয়ে যেত গল্পের শিকড়ের কাছে. কাহিনির বীজের কাছে। মনে পড়ে সেই পা জোড়ার একটি কাটা যাওয়ার কথা। সেই কাটা পা নিয়ে তিনি চড়ে বসেন হুইলচেয়ারে। যেমনটা তাঁর ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসে দেখি: বিদ্রোহী ফকিরদের নেতা মুনশি বায়তুল্লাহ ইংরেজের গুলি খাওয়া বুক নিয়ে মরে যাওয়ার পর চড়ে বসেছিলেন কাৎলাহারের বিলপাড়ের পাকুড়গাছের মাথায়। তাঁর অধীন মানুষ ও প্রকৃতিকে সেখান থেকেই দেখে রাখতেন। ইলিয়াসও অন্তিমে হুইলচেয়ারে করে চেষ্টা করেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর উপন্যাসটি শেষ করতে। পারেননি. হুইলচেয়ারে বসে থাকতে পারেননি. পদাতিক জীবন ভুলতে পারেননি। মরে গিয়েছিলেন অকালে. মাত্র ৫৪ বছর বয়সে। এ রকম পায়ের ব্যথাকে শাসন করতে করতেই বলেছিলেন একদিন. ‘আজ মহাস্থানগড়ে যাব. ওই উপন্যাসটার কথা ভাবা শুরু করেছি।’ প্রাচীন পুণ্ড্রনগরের কৈবর্ত বিদ্রোহ আর একাত্তরের সময়কার মহাস্থানগড় এলাকার পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস লিখতে যাচ্ছেন। করে গেলে সেটা হতো ‘চিলেকোঠার সেপাই’ ও ‘খোয়াবনামা’র পরে তাঁর ট্রিলজির শেষ খণ্ড। জীবন শ্রেষ্ঠকে সুযোগ দেয় না প্রায়ই। ওই গোলাবাড়ি থেকে মহাস্থানের পথে এখনো ‘খোয়াবনামা’র ফকির আর সন্ন্যাসীদের দেখা যায়। ইংরেজের বিরুদ্ধে ফকির মজনু শাহ আর ভবানী পাঠকের সন্ন্যাসীদের লড়াই শেষ হলেও. ইতিহাস জীবন্ত হয়ে হাঁটে মানুষের দেহবিজড়িত আচরণে। গোলাবাড়ি বাজারে এক সাধুর দেখা পেয়েছিলাম যিনি যৌবনে যমুনা নদীর তলায় ব্যাখ্যাতীত কোনো ঘটনা দেখে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে এখন খালি পায়ে এখানে সেখানে ঘোরেন। এই লোকটির মধ্যে কি ‘খোয়াবনামা’র তমিজের বাপকে দেখা যায় না? ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হলো ‘খোয়াবনামা’। সে বছরই লেখক শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একটা চমৎকার আলোচনা অনুষ্ঠান করে এর ওপর। অসুস্থ থাকায় পরে তাঁকে আলোচনার রেকর্ড শোনানো হয়। এ রকমই একদিন ঢাকায় আজিমপুর কলোনির বাসায় হাজির হলাম সন্ধ্যার দিকে। গিয়ে শুনি. হুইলচেয়ারে বসে একাই গোসল করতে গিয়ে সুস্থ পা-টাতে চোট পেয়েছেন। বসার ঘরে বসে আছি। ভাবি হুইলচেয়ার ঠেলে তাঁকে গোসল করিয়ে নিয়ে আসছেন। দেখছি সেই প্রাণবান মানুষটাকে। যে মানুষটা বহির্মুখী. প্রাণবান. উদ্দাম আড্ডায় তুখোড়। তেজি সেই মানুষটার মাথাভর্তি ধূসর চুল ছিল. গলার আওয়াজ ছিল গমগমে. আর ছিল প্রাণখোলা হাসি। সেই পদাতিক প্রাণবান মানুষটা তখন যুদ্ধাহত. ক্যানসারে একটা পা কাটা। ফুসফুসেও ছড়িয়েছে মরণাত্মক কর্কট ব্যাধি। আমাকে দেখেই খেপে গেলেন। কেন জাহাঙ্গীরনগর থেকে উজিয়ে তাঁকে দেখতে এসেছি। বললাম. ‘একটা মিটিং ছিল. ঢাকায় আসতেই হতো। ভাবলাম. আপনাকে দেখে যাই।’ শুনে আরও ক্ষিপ্ত হলেন। ভাবি পেছনে হুইলচেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে। ইশারায় চুপ থাকতে বললেন। ইলিয়াস ভাই তখনো বলে চলেছেন. ‘তোমার কি গোঁফ হয়েছে. তুমি কি স্ট্যালিন হয়েছ? তোমাকে ছাড়াও বিপ্লব হবে।’ এতক্ষণে রাগের কারণ বুঝলাম। তিনি জানতেন. আমার তখন ফুসফুসে পানি জমেছে. ফুটা হয়েছে। বিশ্রামে থাকার নির্দেশ আছে। এ অবস্থায় কেন আমি ছোটাছুটি করছি. এই-ই তাঁর উদ্বেগ। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়ে এ রকমই তোপের মুখে পড়েছিলেন তাঁর অগ্রজ বন্ধু ও সতীর্থ কথাশিল্পী শওকত আলী। পা-হীন তাঁকে দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন। ইলিয়াস নরম আবেগ সইতেন না। ধমকে উঠলেন. ‘পা গেল আমার. তুমি কাঁদছ কেন?’ পায়ের ব্যথাটা আর ছিল না। কিন্তু অন্য ব্যথা তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত। যে পা নেই. সেই পায়ের সাড়া পেতেন। মনে হতো হাঁটুর কাছে চুলকাচ্ছে কিংবা ঊরুর সেই ব্যথাটা বুঝি ফেরত এসেছে। আনমনে ডান হাতটা সেখানে নিয়ে যেতেন. কিন্তু হাতে কিছু ঠেকত না. কেবলই শূন্যতা। যেখানে ব্যথা. যেখানে পা-টা থাকার কথা. সেখানে তা নেই। সেটা তিনি ফেলে এসেছেন কলকাতার হাসপাতালে। সেবার কলকাতায় যাওয়ার পথে কোনো এক ভক্ত ছবি তুলতে চাইছিল তাঁর। ইলিয়াস নিষ্ঠুর। বললেন. ‘অ্যাই. ভালো করে তোলো. দেখো দুটো পা-ই যেন ওঠে। নইলে কেউ তো বিশ্বাস করবে না যে আমার দুটো পা-ই ছিল।’ শ্লেষ ও রসিকতার আড়ালে এভাবে দুঃখ ঢাকতেন। তাঁর চরিত্রদেরও রেহাই দিতেন না এই শ্লেষ ও রসিকতা থেকে। তাদের তুচ্ছতা. অসহায়ত্ব দেখাতেন ঠিকই. কিন্তু পড়ার পর পাঠকের মনে কোথায় যেন একটা মায়ার রেশ রয়ে যেত। নিরাবেগ ভাষার তলায় যেন দরদের শিরা বয়ে যেত. সেই দরদ পাঠককেও ছুঁত। শেষ স্মৃতিটা ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারির। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন সমাবর্তন। তার মধ্যেই সমাবর্তনের মাইকে ঘোষিত হলো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর নেই। আমি আর কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা দৌড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুরের বাসে চড়ে বসি। সেবার খুব বন্যা হয়েছিল দেশে। সাভার থেকে ঢাকার পথের দুপাশে আদিগন্ত জলরাশি। বাসের দরজায় ঝুলছি আমরা দুজন। কথা নেই কারও। কেবল অফুরান জলরাশির দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল. নেই আর সেই মহিম ছায়া. মাঝে মাঝে আর কার কাছে যাব? তাঁর ‘থাকা’র মতো না-থাকাটাও এতই প্রবল। তাঁর সেই কাটা পায়ের মতো. যা নেই কিন্তু ঠিকই ব্যথা দেয়। সেদিনও বোধ হয় আকাশ মেঘলাই ছিল। বিকেলের দিকে আজিমপুর সরকারি কলোনিতে নিচতলার বাসায় পৌঁছালাম। সেই বসার ঘরে ঢুকলাম. যেখানে মহাশ্বেতা দেবীর আসা উপলক্ষে আড্ডায় কয়েক মাস আগেই হাজির হয়েছিলাম। সেই ঘর. যেখানে বদরুদ্দীন উমরের দেওয়া ক্ল্যাসিকাল সংগীতের ক্যাসেট থেকে শুনিয়েছিলেন। ঢাকার বিদায় পর্ব শেষে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে বগুড়ায়। কী মনে হলো. বললাম. আমিও যাব। একটা লাশবাহী গাড়ি আর একটা মাইক্রোবাস। ৯টা কি ১০ টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম আরিচা ঘাটে। সরকারিভাবে একটা বিশেষ ফেরি রাখা ছিল। খুব কুয়াশা আর শীত। তার মধ্যে অনেক রাতে ফেরির ছাদে উঠে এসেছি। দেখি. আরেক দিকে রেলিংয়ে হেলান দিয়ে আছেন ইলিয়াসের ছোট ভাই. অনুবাদক ও খ্যাতনামা অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আমাদের শিক্ষক ছিলেন। ওই হিম শোকের রাতে আমরা কোনো কথা বলিনি। একমনে ফেরির উঁচু ছাদের থেকে তাকিয়ে ছিলাম ফেরির ফ্লাডলাইটের আলোয় ঘোলা স্রোতের ঘূর্ণির দিকে। অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়। এই যমুনা নদী চলে গেছে তাঁর গ্রামের বাড়ির কাছ দিয়ে। যমুনা থেকে করতোয়া ও বাঙ্গালী নদী যার আরেক নাম মহিষাবান. তা গিয়ে মিশেছে ‘খোয়াবনামা’র কাৎলাহার বিলে. যার পাড়ে বসে পোড়াদহের মাছের মেলা. যে মেলায় বিশাল বাগাড় মাছেরা বিক্রি হয়. যারা নাকি ছিল ফকির মজনু শাহের শিষ্য মুনশি বায়তুল্লাহর শিষ্য বিদ্রোহী ফকির। মনে হলো. মৃত্যুর পরের এই ঘরে ফেরার যাত্রা যেন তাঁর সাহিত্যিক যাত্রারই অনুকরণ। উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে সংস্কৃতির যে ভাঙা সেতু জোড়া লাগাতে চেয়েছেন. ফিরতে চেয়েছেন দেশের উৎসভূমিতে; অন্তিম দিনে নদী বেয়ে বেয়ে তিনি সেখানেই ফিরে যাচ্ছেন। ক্লান্তি কি জুড়াল পথিকের? যৌবনে কবিতায় লিখেছিলেন তিনি. ‘‘ক্লান্ত চোখে ক্লান্ত চোখের পাতা’তারো চেয়ে ক্লান্ত আমার পাযে ঘর দেখি. “একটুখানি বসি?” জবাব আসে. “না এখানে না।’’ পরদিন দুপুরের পর বগুড়ার ভাই পাগলা মাজার কবরস্থানে তাঁর কবর হয়। কবরস্থানের মূল দরজা দিয়ে ঢুকলেই বামের প্রথম কবরটি বাবা-পুত্রের: বদিউজ্জামান মোহাম্মদ ইলিয়াস ও আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। তার পরেরটি একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধার। এবং আশ্চর্য কাকতাল. তার পাশের কবরটি আমার বড় চাচার. তিনি গত হয়েছেন গত বছর। ইলিয়াসকে কবরে শোয়ানোর পর কাউকে কিছু বলতে বলা হলো। তাঁর ছেলে পার্থ এবং দুই ভাই কিছু বলতে পারছিলেন না। কেউ একজন আমাকে কিছু বলতে বললেন। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে যা বলেছিলাম তা আজও বিশ্বাস করি: তাঁর অকালমৃত্যুর ক্ষতি যেমন পূরণ হওয়ার নয়. তেমনি তাঁর সৃষ্টিকর্ম সাহিত্যের মানচিত্রে বাংলাদেশকে ক্রমশ উজ্জ্বল করে যাবে। ‘নিরুদ্দেশ যাত্রা’ তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প। গল্পটায় ঘোরগ্রস্ত একটি যুবকের ঘুম হয় না। তার কেবলই মনে হয়. ‘আম্মার ঘরে কী যেন ফেলে এসেছি’। যুবকের নামটাও তাঁর নামের সঙ্গে মেলে. ‘রঞ্জু’। রঞ্জু কী যেন হারিয়ে ফেলেছে সে তা জানে না। কিন্তু তার ফাঁকা লাগে. একলা লাগে. শোক হয়। হারানোর এই অনুভূতি শিল্পীকে চালিত করে। আজীবনের কাজে সে তা খোঁজে। হয়তো তা মায়ের কোলের পরম শান্তি ও নিশ্চয়তা। নাড়ির সেই বন্ধন যৌবনে আমরা যা হারিয়ে ফেলি। তারপর না-বুঝেই খুঁজি অন্য কোনো মানুষে. প্রকৃতিতে. দৈবে. ইতিহাসে। ইলিয়াসও কি ‘আম্মার ঘরে হারিয়ে ফেলা’ সেই পরম বন্ধন খুঁজে গেছেন মানুষের ভেতর. ইতিহাসের মধ্যে. মিথ ও প্রবাদে এবং মনের অন্ধকার প্রদেশে? ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।[email protected]
1,573,207
2019-01-04
বিএনপির পরাজিত প্রার্থী হাসপাতালে গ্রেপ্তার
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৩১
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573206/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87
bangladesh
online
2
আইন ও বিচার|রাজনীতি|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় রাজধানীর মতিঝিল থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধারের মামলায় মিয়া নুরুদ্দীন অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১। নুরুদ্দীন শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিএনপি–জামায়াত সরকারের সময় মিয়া নুরুদ্দীন অপু সমালোচিত ও বিতর্কিত হাওয়া ভবনের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন ছিলেন। ওই সময় তিনি বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অপু মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর দেশে ফিরে বেশ কিছু দিন জেল খাটেন। র‍্যাব-১-এর উপ-অধিনায়ক মেজর রাকিবুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন. নুরুদ্দীন অপু ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রেপ্তারের পর তিনি সেখানেই র‍্যাবের প্রহরায় চিকিৎসাধীন থাকবেন। র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে. নুরুদ্দীন অপু ওই হাসপাতালের ৫০৩ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। আট কোটি টাকা উদ্ধারের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিলের সিটি সেন্টার থেকে টাকাসহ ব্যবসায়ী আলী হায়দার ও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আলী হায়দার আমদানি-রপ্তানি ও ঠিকাদারি কোম্পানি ইউনাইটেড করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গ্রেপ্তারের পর মতিঝিলের সিটি সেন্টারে র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন. একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ টাকা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে নগদ ৮ কোটি টাকা ও ১০ কোটি টাকার চেক পাওয়া গেছে। টাকার সঙ্গে তারেক রহমানের ছবিযুক্ত বিএনপির এক নেতার লিফলেটও উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে ১৪ কোটি কালোটাকা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দীন অপুকে সাড়ে তিন কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। টাকা পাঠানোর তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে র‍্যাব।
1,573,206
2019-01-04
কোহলিকে দুয়ো দেওয়ায় খেপেছেন পন্টিংরা
null
খেলা ডেস্ক
১৬
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573193/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A6%BE
sports
online
2
ভারত|ক্রিকেট|বিরাট কোহলি|টেস্ট ক্রিকেট|অস্ট্রেলিয়া
সিডনি টেস্টে ব্যাটিংয়ে নামার সময় বিরাট কোহলিকে ‘দুয়ো’ দেওয়া মানতে পারছেন না অনেকেই। সিরিজ শুরু হওয়ার আগ থেকেই অস্ট্রেলিয়া ব্যস্ত ছিল বিরাট কোহলিকে নিয়ে। মাঠে অস্ট্রেলিয়ানদের এই কোহলি-কেন্দ্রিক চিন্তার ফল তুলে নিচ্ছে ম্যাচে। কোহলিও তাঁর স্বভাবগত আক্রমণাত্মক আচরণ দিয়ে খেপিয়ে তুলছেন অস্ট্রেলীয়দের। স্বাগতিক গ্যালারি সেটা মানতে পারছে না। এরই ফল. গ্যালারি থেকে দুয়ো দেওয়া হচ্ছে ভারত অধিনায়ককে। গালিও শুনতে হচ্ছে তাঁকে। নিজেদের দর্শকের এমন আচরণ লজ্জায় ফেলে দিয়েছে স্বয়ং রিকি পন্টিংকে। মেলবোর্নে কোহলিকে খেপানোর চেষ্টা হয়েছিল গালাগালির মাধ্যমে। পার্থেও দুয়ো দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সিডনির দর্শকেরাও বাদ যাবেন কেন? কোহলি ব্যাট করতে নামার সময় গর্জে উঠেছিল সিডনির গ্যালারি। দুয়ো দিয়ে ভরকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কোহলিকে। পন্টিংকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে কড়া প্রতিক্রিয়াই মিলেছে. ‘এটা যদি সত্যি দুয়ো হয়ে থাকে. তাহলে খুবই লজ্জার ব্যাপার। পার্থ টেস্টেও এ নিয়ে বলেছিলাম। কিছু সম্মান দেখাও।’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টসও ব্যাপারটায় অসন্তুষ্ট. ‘এটা দেখতে মোটেও ভালো লাগেনি আমার। আমরা অস্ট্রেলিয়ানদের গর্বিত হতে বলি. আমরা জেতার কথা বলি। কিন্তু আমরা আশা করি এটা সম্মানের সঙ্গে অর্জিত হবে. এ নিয়ে কোনো তর্ক করার সুযোগ নেই। আমি সমর্থকদের বলব এ খেলাকে সম্মানের সঙ্গেই সমর্থন দিন। এটা (সম্মান দেওয়া) আমাদের চেয়ে বড়. সফরকারীদের সম্মান করুন. তাদের আমাদের দেশের সেরা অভিজ্ঞতা দুন। ওদের মাঠের খেলায় হারানোর চেষ্টা করব কিন্তু সেটা সম্মানের সঙ্গেই। সেটা খেলোয়াড়. কর্মকর্তা. সমর্থক. সম্প্রচারক—সবারই মেনে চলা উচিত। এ খেলার মূল ভিত্তি হলো সম্মান এবং আশা করি এখন থেকে আমরা সবাই সেটা দেখতে পারব।’ ধারাভাষ্যকার টিম লেন অবশ্য দর্শকদের আরও কড়া কথা শুনিয়েছেন. ‘আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি. সে (কোহলি) যখন মাঠে নামল তখন যে অভ্যর্থনা পেয়েছে সেটা ছিল খুব বাজে এবং নিম্নমানের। সে সফরকারী দলের অধিনায়ক। এভাবে তাঁকে স্বাগত জানানো নিচু মানসিকতার পরিচয় দেয়। সে তো ভুল কিছু করেনি. সে শুধু একটু বেশিই ভালো খেলছে... জাতি হিসেবে আমাদের আরও ভালো করা উচিত। আমার এটা ভালো লাগেনি। কোহলির একটাই দোষ. সে তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং অস্ট্রেলিয়ায় এসে জিতছে। মানুষের এটা ভালো না লাগলেও তাদের এর মূল্য বোঝা উচিত এবং প্রশংসা করা উচিত।’
1,573,193
2019-01-04
জাপানি ভিক্ষুরা দেখিয়ে দিলেন
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1573191/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8
international
online
2
এশিয়া|জাপান
জাপানি ভিক্ষুরা এখন দড়ি লাফ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে স্কেটিং করছেন। এমনকি খেলাও দেখাচ্ছেন। আর এসবই তাঁরা করছেন ঐতিহ্যবাহী কিমোনো পরে। ভিক্ষুরা দেখাতে চান তাঁদের এ পোশাকেই তাঁরা সহজে সবকিছু করতে পারেন। স্থানীয় ইয়োমিউরো শিমবুন পত্রিকার খবরে জানানো হয়. এক মাস আগে কিমোনো পরে গাড়ি চালানোর সময় পুলিশ একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর জরিমানা করে। এই পোশাক পরে গাড়ি চালানো নিরাপদ নয় বলে ওই ভিক্ষুকে জানানো হয়। তবে ওই ভিক্ষু ছয় হাজার ইয়েন জরিমানা দেননি।বিবিসির খবর বলছে. এর পর থেকে কিমোনোর পক্ষে নানা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে কিমোনো পরে নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের ভিডিও প্রকাশ করতে থাকেন ভিক্ষুরা। হ্যাশট্যাগ আই ক্যান ডু দিস ইন মংকসে ভিক্ষুরা এসব ভিডিও পোস্ট করছেন। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন. কিমোনোর হাতের ও ঝুলের লম্বার কারণে গাড়ি চালানোয় প্রভাব পড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। ওই বৌদ্ধ ভিক্ষু বলেন. তিনি ২০ বছর ধরে কিমোনো পরে গাড়ি চালাচ্ছেন। কখনো তাঁকে জরিমানা করা হয়নি। জরিমানা পরিশোধ করা না হলে স্থানীয় ট্রাফিক আইন অনুসারে তাঁর শাস্তি হতে পারে।
1,573,191
2019-01-04
জন্মদিনে নজরুলমঞ্চে ফাহমিদার গান
null
বিনোদন প্রতিবেদক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573190/%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%A8
entertainment
online
2
বাংলা গান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবীর জন্মদিন আজ। এখন তিনি আছেন কলকাতায়। জানালেন. সেখানে নজরুলমঞ্চে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি গান করবেন। আজ থেকে সেখানে শুরু হচ্ছে ‘বাংলা উৎসব ২০১৯’। যৌথভাবে আয়োজন করেছে বেঙ্গল গ্রুপ ও বন্ধন ব্যাংক। চলবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। এখানে গান করবেন দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পীরা।ফাহমিদা নবী আজ দুপুরে নজরুলমঞ্চে যান। সেখান থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। ভক্ত আর পরিচিতজনদের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নেন। জানালেন. রাতে এই উৎসবে তিনি গান করবেন। এর আগে এসেছেন মহড়া করতে। এ সময় সেখানে আরও ছিলেন বাপ্পা মজুমদার ও তানিয়া হোসাইন দম্পতি। তাঁরাও সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।ফাহমিদা নবী বলেন. ‘খুব ভালো লাগছে। জন্মদিনে আজ আমি অনুষ্ঠান করছি। শিল্পীর জন্য এটা বড় প্রাপ্তি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন তিনি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন. ‘সবাই এত ভালোবাসো। ব্যাপারটা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি অনেক পথ চলতে পারি। সব যুদ্ধ জয় করতে পারি। আমি অনেক কিছু করতে পারব. যদি তোমরা আমার পাশে থাকো।’
1,573,190
2019-01-04
অস্ট্রেলীয় ধারাভাষ্যকারকে খোঁচা দিয়েই যাচ্ছে ভারত
null
খেলা ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573189/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4
sports
online
2
ভারত|ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেট|অস্ট্রেলিয়া
মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনিতেই বিপাকে পড়েছিলেন কেরি ও’কিফ। অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজে মেলবোর্ন টেস্টে অভিষেক হয়েছিল আগারওয়ালের। অভিষিক্ত আগারওয়ালকে নিয়ে খোঁচা মেরে কথা বলায় চলতি সিডনি টেস্টে যখনই তিনি ধারাভাষ্য দিচ্ছেন. তাঁর বদলে অন্যদের ধারাভাষ্য শোনাচ্ছে সনি ইএসপিএন। তবে নতুন করে যে খোঁচা শুনতে হচ্ছে সেটা মেলবোর্ন টেস্টেরই ঘটনা। মেলবোর্নে অভিষেকের সময় মায়াঙ্কের ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্দান্ত ফর্ম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল ধারাভাষ্য কক্ষে। কথা হচ্ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে। মার্ক ওয়াহ ব্যাখ্যা করছিলেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের ৫০ গড় অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ এর কাছাকাছি থাকবে। এ সময় ও’কিফ মন্তব্য করেন. মায়াঙ্কের ট্রিপল সেঞ্চুরিটি এসেছিল রেলওয়ের ক্যানটিন কর্মীদের নিয়ে গড়া দলের বিপক্ষে। কথাটার মধ্যে কতটা নিরীহ হাস্যরস ছিল. কতটা বিদ্রূপ; তা তো বলা কঠিন। তবে ভারতীয় সমর্থকেরা ভালোভাবে নেয়নি এই মন্তব্য। অনেকে বলছেন. এ ধরনের কথা বলা বর্ণবাদী আচরণের শামিল। এরপরও অবশ্য ও’কিফের আচরণ খুব একটা বদলায়নি। সে টেস্টের চতুর্থ দিনেই ভারতীয়দের নাম নিয়ে রসিকতা করেছেন। বলেছেন. ‘কেন আপনি আপনার ছেলের নাম চেতেশ্বর জাদেজা রাখবেন!’ চেতেশ্বর পূজারা ও রবীন্দ্র জাদেজাদের নাম উচ্চারণ করতে তাঁর খুব কষ্ট হচ্ছিল. এমন একটা ভাব দেখিয়েছেন ও’কিফ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিন ধরে আছেন এমন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে নিয়ে তাঁর এমন মজা যে ভালোভাবে নেবে না ভারত সেটা জানা ছিল। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়াকে আবার নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে ভারত। যে দুজনকে নিয়ে মজা করেছিলেন সেই পূজারা ও জাদেজাই ভারতকে এনে দিয়েছেন পাহাড়সম স্কোর। আজ তাই ভারতের ইনিংসে চিড় ধরাতে যখন বোলিংয়ে আনা হলো মার্নাস লেবুশেনকে. তখনই পাল্টা খোঁচা জুটল ও’কিফের কপালে। ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা সুনীল গাভাস্কার এই লেগ স্পিনারকে দেখেই বলে উঠলেন. ‘লেবুশেন হলো এমন এক নাম যা শুধু ও’কিফের পক্ষেই উচ্চারণ করা সম্ভব।’ ইঙ্গিতটা পরিষ্কার. ভারতীয়দের নাম নিয়ে খোঁচা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া. ওদিকে তাদের নিজেদের খেলোয়াড়ের নাম সঠিকভাবে উচ্চারণ করাও প্রায় অসম্ভব!
1,573,189
2019-01-04
সালমান কেন চুমুর দৃশ্য করেন না?
null
প্রতিনিধি. মুম্বাই
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573188/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%83%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE
entertainment
online
2
বলিউড|সালমান খান
সালমান খানের জন্য হাজার হাজার তরুণী দিওয়ানা। অনেকেই বেজায় খুশি যে এখনো তিনি অবিবাহিত। কিন্তু বলিউডের সবচেয়ে বিবাহযোগ্য নায়কটিকে কখনো পর্দায় নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে দেখা যায়নি। অনেকের মনে প্রশ্ন. ‘বলিউডের ভাইজান’ কেন পর্দায় চুমুর দৃশ্য করেন না। এর আসল কারণ কী? এবার সেই রহস্য থেকে চাদর সরালেন সালমান খানের ভাই আরবাজ খান। সালমান নিজেও জানালেন তাঁর চুমু না খাওয়ার কারণ। ভারতের সনি চ্যানেলের জনপ্রিয় কমেডি অনুষ্ঠান ‘দ্য কপিল শর্মা শো’তে অতিথি হয়ে এসেছিলেন খান খানদান। এই শোতে বাবা সেলিম খান আর দুই ভাই আরবাজ ও সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে আসেন সালমান। ভাইজানের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নানা মজার কথা এখানে ফাঁস হয়। চুমুর প্রসঙ্গ উঠতেই সালমান খান বলেন. ‘বাড়িতে আমরা সবাই একসঙ্গে বসে ইংরেজি সিনেমা দেখতাম। আর যখন কোনো চুমুর দৃশ্য আসত. আমরা টিভির পর্দা থেকে মুখ সরিয়ে নিতাম। লজ্জায় একে অপরের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারতাম না। তখন বাড়িতে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হতো। সেখান থেকেই আমি অনুভব করি. পরিবারের সঙ্গে বসে চুমুর দৃশ্য দেখতে খুবই সমস্যা হয়।’ এ জন্য সালমান সিদ্ধান্ত নেন. পর্দায় কখনো তিনি কোনো চুমুর দৃশ্য করবেন না। কপিল শর্মা সালমানকে জিজ্ঞেস করেন. কোনো নতুন নায়িকার সঙ্গে তিনি কীভাবে রোমান্টিক দৃশ্য করবেন। সালমান বলেন. তিনি তো কোনো চুমুর দৃশ্য করেন না। এদিকে এ প্রসঙ্গে আরবাজ খান মজা করে বলেন. ‘ও অফস্ক্রিনে এই কাজটা এত করে যে. অনস্ক্রিনের আর প্রয়োজন হয় না।’ ভাইয়ের কথা শুনে সালমান খান হাসিতে ফেটে পড়েন।
1,573,188
2019-01-04
সংখ্যালঘুরা শঙ্কাহীনভাবে ভোট দিয়েছেন: রানা দাশগুপ্ত
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১০
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573187/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE
bangladesh
online
2
একাদশ সংসদ নির্বাচন|সংখ্যালঘু|আওয়ামী লীগ
এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মান্ধতাকে কোনো রাজনৈতিক দল ব্যবহার করেনি বলে মন্তব্য করেছেন সংখ্যালঘু নেতারা। তাঁদের মতে. এ কারণে এবারের নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুরা শঙ্কাহীনভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু নেতারা। নির্বাচনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন. ‘এবারের নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুরা শঙ্কাহীনভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগে সক্ষম হয়েছেন। সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মান্ধতাকে কোনো রাজনৈতিক দল ব্যবহার করেনি। আমরা এটিকে ইতিবাচক মনে করি। আমরা এ জন্য সরকার. নির্বাচন কমিশনসহ সব রাজনৈতিক দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’ বেশ কয়েক জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার উল্লেখ করে রানা দাশগুপ্ত বলেন. নির্বাচনের আগে–পরে ফেনীর সোনাগাজী. ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা. ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা. পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিসহ কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ. প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। দুর্বৃত্তদের কাউকে কাউকে আটক করেছে. ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এতে সংখ্যালঘু জনমনে আশা ও আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। সংসদনেতা নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন. আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্টভাবে তার নির্বাচনী ইশতেহারে সন্ত্রাস. জঙ্গিবাদ. মাদক নির্মূলের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতির অঙ্গীকার করেছে। এটি আক্ষরিকভাবে কার্যকর করতে ভবিষ্যৎ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রানা দাশগুপ্ত বলেন. এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজাকার. স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সংসদ গঠিত হতে যাচ্ছে। আশা করা যায়. সংসদে সরকারি ও বিরোধী দল ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় সুস্পষ্ট যে অঙ্গীকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছে. তা যথার্থভাবে পালন করবে। সংসদের ভেতরে ও বাইরে তা তাঁরা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। সংসদে সংখ্যালঘু ৩৫ জনের মতো সাংসদ থাকা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন. ২০১৪ সালের নির্বাচনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিলেন ১৮ জন। এবারও তা–ই আছে। দেশে ভোটারদের ১২ শতাংশ সংখ্যালঘু। তাই ৩৫ থেকে ৩৬টি আসনে সংখ্যালঘু সাংসদ থাকা উচিত বলে মনে করেন তাঁরা। তিনি দাবি করেন. ভবিষ্যতে যাঁরা নেতৃত্ব দেবেন. তাঁরা যেন সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে ভূমিকা পালন করেন। সংবাদ সম্মেলনে গতকাল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক. বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গোমেজ। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ. বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও. সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর ঘোষ প্রমুখ।
1,573,187
2019-01-04
হাঙ্গেরি যাচ্ছে জোড়া মাথার রাবেয়া-রোকাইয়া
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১৪
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573186/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%8B%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE
bangladesh
online
2
স্বাস্থ্য|স্বাস্থ্যসেবা|হাঙ্গেরি|চিকিৎসা
পাবনায় জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়া রাবেয়া-রোকাইয়াকে চিকিৎসার জন্য হাঙ্গেরি নেওয়া হবে। হাঙ্গেরি থেকে ফেরার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অধীনে চিকিৎসাধীন এই যমজ শিশুদের দেশেই অস্ত্রোপচার করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাবেয়া-রোকাইয়াকে হাঙ্গেরি নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ শিশু দুটির চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন। হাঙ্গেরিতে চিকিৎসার জন্য তাঁর দেওয়া অনুদান শিশুদের মা-বাবার হাতে তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ নাসিম বলেন. প্রধানমন্ত্রী বাস্তব অর্থেই মানবতার নেত্রী। তিনি চিকৎসক ও রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা-মাকেও ধন্যবাদ জানিয়ে ওদের চিকিৎসার সাফল্য কামনা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান. বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির যৌথ উদ্যোগে রাবেয়া-রোকাইয়ার চিকিৎসা হবে। সেখানে হাঙ্গেরি. জার্মানি ও বাংলাদেশের পাঁচটি দলের ২০ সদস্য কাজ করবেন। তিনি জানান. রাবেয়া-রোকাইয়া যখন ভর্তি হয় বাংলাদেশে জার্মানি ও হাঙ্গেরির প্রতিনিধিদল ছিল। তখন থেকেই ওদের চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে শিশু দুটির অবস্থা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছানো হয়। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।দুই বছর সাত মাস বয়সী এ শিশু দুটির বাংলাদেশে এর আগে মস্তিষ্কের রক্তনালিতে দুবার অস্ত্রোপচার করা হয়। হাঙ্গেরি থেকে ফেরার পর দেশে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ওদের মূল অস্ত্রোপচার হবে। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ. রাবেয়া–রোকাইয়ার মস্তিষ্ক আলাদা। কিন্তু ওদের পুরোপুরি আলাদা করার জন্য টিস্যু বাড়াতে হবে। এ ছাড়া আরও কিছু চিকিৎসার জন্য ওদের হাঙ্গেরি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন. সারা বিশ্বে এ ধরনের চিকিৎসায় সফলতার হার ২০ শতাংশের কম। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানান তিনি। হাঙ্গেরিতে রাবেয়া-রোকাইয়াকে তিন থেকে চার মাস থাকতে হতে পারে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে ‘ফর বাংলাদেশ’ নামে হাঙ্গেরিভিত্তিক একটি বাংলাদেশি সংগঠন শিশু দুটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবে। রাবেয়া-রোকাইয়াসহ ছয়জন আজ রাতে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা হবেন। সঙ্গে যাবেন বার্ন ইউনিটের ওদের চিকিৎসক হোসাইন ইমাম। শিশু দুটির বাবা রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাচ্চা দুটির জন্য সবার কাছে দোয়া চান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম. সাংসদ হাবিবে মিল্লাত. ফর বাংলাদেশের হাসনাত মিয়াসহ বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকেরা।
1,573,186
2019-01-04
চীন ভ্রমণে আমেরিকানদের বাড়তি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1573185/%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6
northamerica
online
2
null
চীন সফরের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। চীনে কানাডার কয়েকজন ‘উঁচু দরের’ ব্যক্তি গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নতুন করে এই ভ্রমণ–সতর্কতা জারি করল। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের হালনাগাদ পরামর্শে সতর্ক করে বলেছে. যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চীন ত্যাগের ক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। নতুন ভ্রমণ–সতর্কতায় বলা হয়. কথিত প্রস্থান নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীন বিদেশি নাগরিকদের সে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। চীনের কথিত এই নিষেধাজ্ঞাকে দমনমূলক বলে বর্ণনা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ভ্রমণ–সতর্কতায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে. মার্কিন নাগরিকেরা চীনে আটক হতে পারেন। সেখানে তাঁদের কনস্যুলার সেবা থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা না–ও হতে পারে। চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝুকে গত মাসে গ্রেপ্তার করে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে টানাপোড়েনের সম্পর্ক চলার মধ্যে মেং ওয়ানঝু গ্রেপ্তার হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ অনুরোধে কানাডার ভাঙ্কুভার বিমানবন্দরে মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেং ওয়ানঝু গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কানাডার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন বাড়ে। গত মাসেই চীন কানাডার দুজন ‘হাই-প্রোফাইল’ নাগরিককে আটক করে। তাঁরা হলেন কানাডার সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কভরিগ ও ব্যবসায়ী মাইকেল স্প্যাভর। চীনে তাঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের শীর্ষ কৌঁসুলি বলেছেন. কভরিগ ও স্প্যাভর সন্দেহাতীতভাবে চীনা আইন ভেঙেছেন। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী. কানাডার ১৩ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে. তাদের তিন নাগরিকের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনে চীন। গত নভেম্বরে তাঁদের চীন ত্যাগে বাধা দেওয়া হয়।
1,573,185
2019-01-04
নিজের তথ্য বেচার সুযোগ আসবে?
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/technology/article/1573184/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87
technology
online
2
খবরাখবর
আপনার নাম. বয়স. পেশা. জন্মতারিখ. শখের মতো ব্যক্তিগত অনেক তথ্যই বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে মূল্যবান। এর বাইরেও আপনি প্রতিদিন নানা রকম ডেটা বা তথ্য তৈরি করেন। আপনার কেনাকাটা. চিকিৎসা কিংবা পছন্দের বিভিন্ন তথ্যের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হাঁ করে থাকে. অর্থাৎ আপনার ব্যক্তিগত এসব তথ্যের মূল্য আছে। ব্যক্তিগত তথ্য যদি অন্যের হাতে চলে যায়. তবে তা বিপদের কারণ হতে পারে। তাই নিজের তথ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ‘বালি’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ‘বালি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বিষয়ে সংগৃহীত তথ্যের সব নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর হাতে দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে মাইক্রোসফট রিসার্চের প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। বালিকে ব্যক্তিগত ডেটা ব্যাংক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এখানে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করার সুবিধা থাকবে। এ ছাড়া তথ্য প্রদর্শন. ব্যবস্থাপনা. শেয়ার করা ও তা থেকে অর্থ আয় করার সুযোগ থাকবে। ২০১৪ সালে মাইক্রোসফট রিসার্চে কাজ করার সময় ‘ইনভার্স প্রাইভেসি’ ধারণা নিয়ে কাজ করেছিলেন ইউরি গুরেভিস. ইফিম হুদিস ও জেনেট উইং নামের তিন গবেষক। তাঁদের সেই ধারণার ওপর ভিত্তি করে বালি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে মাইক্রোসফট। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য একত্র করতে পারবেন ব্যবহারকারী এবং তা দেখতে পারবেন। তবে এই তথ্যের মালিকানার মডেল কীভাবে কাজ করবে. মাইক্রোসফট সে বিষয়ে কিছু বলেনি। এ প্রকল্প বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে কি না. তা–ও এখনো জানায়নি মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ। তথ্যসূত্র: জেডডিনেট।
1,573,184
2019-01-04
৯০ বছর পর পূজারাই...
null
খেলা ডেস্ক
১৭
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573183/%E0%A7%AF%E0%A7%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87
sports
online
2
ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেট|অস্ট্রেলিয়া|ভারত
ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে না পারলেও সিডনি টেস্টে ৯০ বছরের পুরোনো একটা রেকর্ড ঠিকই ভেঙে ফেলেছেন চেতেশ্বর পূজারা ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে না পারলেও সিডনি টেস্টে ৯০ বছরের পুরোনো একটা রেকর্ড ঠিকই ভেঙে ফেলেছেন চেতেশ্বর পূজারা ১৯২৮-২৯ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের হারবার্ট সাটক্লিফ বল খেলেছিলেন ১ হাজার ২৩৭টি। এত দিন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যেকোনো সফরকারী দলের ব্যাটসম্যান হিসেবে এটি ছিল সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড। শুক্রবার চেতেশ্বর পূজারা ৯০ বছরের পুরোনো এই রেকর্ড থেকে সাটক্লিফের নাম মুছে দিয়ে নিজের নামটি লিখলেন নতুন করে। এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে চারটি টেস্ট মিলিয়ে পূজারা বল খেলেছেন ১ হাজার ২৫৭টি।সিডনি টেস্টে পূজারা ৩৭৩ বল খেলে করেছেন ১৯৩ রান। অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে ৯০ বছরের পুরোনো রেকর্ডটি ভেঙে নিশ্চয়ই সে দুঃখটা ভুলেছেন ভারতের নতুন যুগের এই ‘রাহুল দ্রাবিড়’।পূজারা অবশ্য দ্রাবিড়কে ছাড়িয়েছেন অন্য একটি জায়গায়। ২০০৩-০৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে দ্রাবিড় খেলেছিলেন ১ হাজার ২০৩টি বল। আজ পূজারা তাঁকে ছাড়িয়েছেন। একই সঙ্গে ব্রাকেটবন্দী হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কমপক্ষে এক হাজার বল খেলা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের তালিকায়।আরও একটি রেকর্ড এই ইনিংসে হয়েছে পূজারার। নবম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন ১৫০ রানের ইনিংস। তবে তিনে নামা ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৫০ করা দ্বিতীয় ভারতীয় তিনি।
1,573,183
2019-01-04
মন্ত্রিপরিষদে ‘বড় চমকের’ কথা বললেন কাদের
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৭৭
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573181/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A7%9C-%E0%A6%9A%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0%E2%80%99-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0
bangladesh
online
2
আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|ওবায়দুল কাদের|জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট|বিএনপি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন. এবারের নির্বাচনে যেহেতু আমরা বড় বিজয় পেয়েছি. সে হিসেবে মন্ত্রিপরিষদেও বড় চমক থাকবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আজ শুক্রবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্যদের শপথ না নেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন. ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি বড় ভুল করেছে। শপথ না নিলে বিএনপি আরও বড় ভুল করবে। তিনি বলেন. ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছিল. এবার সংসদ অধিবেশনে যোগ না দিলে একই ব্যর্থতা আর ভুলের চোরাবালিতে তাদের আটকে থাকতে হবে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন. শপথ নেওয়া ও সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বিরোধী পক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে. সরকারের পক্ষ থেকেও আমি আমন্ত্রণ করেছিলাম। জনগণ যে রায় দিয়েছে. যেটুকু রায় দিয়েছে. এটা তাদের সম্মান করা উচিত। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানান কাদের। তিনি বলেন. আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফের আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে লন্ডনে বঙ্গবন্ধু কন্যাদের পাশে ছিলেন সৈয়দ আশরাফ।
1,573,181
2019-01-04
সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে ড. কামালের শোক
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
১১
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573177/%E0%A6%B8%E0%A7%88%E0%A7%9F%E0%A6%A6-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A1.-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%95
bangladesh
online
2
শোক|মৃত্যু|রাজনীতি|আওয়ামী লীগ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|ড. কামাল হোসেন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু। সৈয়দ আশরাফের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতিও তাঁরা গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই শোক প্রকাশ করা হয়। গণফোরামের মিডিয়া সেলের লতিফুল বারী হামিম গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিতে বলা হয়. একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সৈয়দ আশরাফের মতো অভিজ্ঞ সাংসদ ও সৎ. দক্ষ রাজনীতিবিদের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। তিনি এই পরিস্থিতিতে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে ভূমিকা রাখতে পারতেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ হারাল মহৎপ্রাণ ত্যাগী দেশপ্রেমিক একজন রাজনীতিবিদকে। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আশরাফ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সৈয়দ আশরাফ ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। গত জুলাই মাস থেকে তিনি ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ কারণে গতকাল সকালে সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিতে পারেননি। সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।
1,573,177
2019-01-04
জাপা বিরোধী দল হচ্ছে. এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৭৮
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573176/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE
bangladesh
online
2
রাজনীতি|জাতীয় পার্টি|এরশাদ|একাদশ সংসদ নির্বাচন|আওয়ামী লীগ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবশেষে জাতীয় পার্টিই হতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল। বিরোধী দলীয় নেতা হবেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলের কোনো সদস্য মন্ত্রী হবেন না। আজ শুক্রবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। নির্বাচনে পর গত চার দিন ধরে এই ইস্যুটি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা ছিল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। ফলে দলটি সরকারে না বিরোধী দলে থাকবে তা নিয়ে ছিল আলোচনা। এ কয়দিনে জাতীয় পার্টি একাধিক বৈঠক করলেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। অবশেষে আজ দলের চেয়ারম্যান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফল অনুসারে. জোটগতভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন। আলাদাভাবে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি. জাতীয় পার্টি ২২টি. বিএনপি ৫টি. ওয়ার্কার্স পাটি ৩টি. স্বতন্ত্র ৩টি. জাসদ ২টি. বিকল্পধারা ২টি. গণফোরাম ২টি. জেপি ১টি ও তরিকত ফেডারেশন ১টি করে আসন পেয়েছে। বিবৃতিতে এরশাদ বলেন. জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা. কর্মী. সমর্থক ও দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি জানাচ্ছেন যে. একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। পদাধিকার বলে জাতীয় পার্টির সংসদ বিষয়ক দলের সভাপতি হিসেবে তিনি হবেন বিরোধী দলের নেতা। পার্টির কো চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।বিবৃতিতে এরশাদ জানান. তাঁর দলের কোনো সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না।
1,573,176
2019-01-04
নিরঙ্কুশ জয়ে ১৯ জানুয়ারি আ.লীগের মহাসমাবেশ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
৩২
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573170/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B6-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%86.%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6
bangladesh
online
2
নির্বাচন|আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|নির্বাচন কমিশন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় উপলক্ষে আগামী ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়. ১৯ জানুয়ারি শনিবার বেলা আড়াইটায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফল অনুসারে. জোটগতভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন। আলাদাভাবে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি. জাতীয় পার্টি ২২টি. বিএনপি ৫টি. ওয়ার্কার্স পাটি ৩টি. স্বতন্ত্র ৩টি. জাসদ ২টি. বিকল্পধারা ২টি. গণফোরাম ২টি. জেপি ১টি ও তরিকত ফেডারেশন ১টি করে আসন পেয়েছে। ১৯ জানুয়ারির মহাসমাবেশকে সর্বাত্মকভাবে সফল করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী. সমর্থক. শুভানুধ্যায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়. কাল শনিবার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি. সাধারণ সম্পাদক. ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি. সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ওবায়দুল কাদের।
1,573,170
2019-01-04
আবারও গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড রোনালদোর
null
খেলা ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573164/%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B0
sports
online
2
ফুটবল|জুভেন্টাস|ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
টানা তৃতীয়বারের মতো গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শুধু তাই নয়. ২০১৮ সালের সেরা গোলের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা টানা তৃতীয়বারের মতো গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। শুধু তাই নয়. ২০১৮ সালের সেরা গোলের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা দুই দিন আগেই বলেছিলেন. এখন আর ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে তিনি ভাবেন না। বরং দলের সাফল্যের দিকেই বেশি মনোযোগ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ভালো খেললে যে পুরস্কার ঠিকই কোনো খেলোয়াড়ের দিকে ছুটে যায়. সেটির প্রমাণ রাখলেন পর্তুগিজ তারকা। নতুন বছর শুরু হতে না হতেই পেয়ে গেলেন গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। শুধু তা-ই নয়. এই পুরস্কারে ২০১৮ সালের সেরা গোলটিও তাঁরই। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো গ্লোব পুরস্কার জিতলেন জুভেন্টাসের এই তারকা। গত বছরের শুরুতেও প্রায় সব পুরস্কারই নিজের নামে করে নিয়েছিলেন রোনালদো। গত বছর জিদান-রোনালদো জুটি মিলে দুবাই থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের সবগুলো পুরস্কার জয় করে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ মৌসুমে ‘গুরু জিদান’ না থাকলেও নিজে দুটি পুরস্কার হাতে নিলেন। বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার পাশাপাশি গত বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে করা তাঁর সেই বাইসাইকেল কিকের গোলটি জিতেছে সেরা গোলের পুরস্কার। বাইসাইকেল কিকে করা গোলটি নির্বাচিত হয়েছে ২০১৮ সালের সেরা গোল। ৮ বছর ধরে দেওয়া এই পুরস্কারের পাঁচবারের সেরা খেলোয়াড়টির নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এবার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পথে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের আতোয়াঁন গ্রিজমান ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে রোনালদো নিজের উচ্ছ্বাস গোপন রাখেননি. ‘অসাধারণভাবে আরেকটি নতুন বছরের সূচনা। যারা যারা প্রশংসা আর পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ।’ ছবিতে নিজের স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে ছিলেন তাঁর এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেজ। এই মেন্ডেজ বছরের সেরা এজেন্ট হিসেবে জিতেছেন গ্লোব পুরস্কার। যারা যারা এই ২০১৮ সালের গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে পুরস্কৃত হয়েছেন তারা হলেন: বছরের সেরা খেলোয়াড়: ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সেরা কোচ: দিদিয়ের দেশম সেরা এজেন্ট: হোর্হে মেন্ডেজ সেরা গোল: রোনালদো বনাম জুভেন্টাস (চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল) ক্যারিয়ারে সেরা অগ্রগতি: ব্লেইস মাতুইদি সেরা স্পোর্টিং ডিরেক্টর: ফ্যাবিও প্যারাটিসি সেরা ক্লাব: অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদক্যারিয়ার অ্যাওয়ার্ড: রোনালদো নাজারিওবিশেষ খেলোয়াড় অ্যাওয়ার্ড: জবেনোমির বোবানআরব ক্যারিয়ার অ্যাওয়ার্ড: সামির আল জাবের
1,573,164
2019-01-04
মাখোঁর ওপর অখুশি বেশির ভাগ ফরাসি
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1573163/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%81%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF
international
online
2
ইউরোপ|ফ্রান্স
ফ্রান্সের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও তাঁর সরকারের ওপর অখুশি। বেশির ভাগ লোকজন পরিবারের আয় ব্যাপক হারে বাড়াতে সরকারের আরও পদক্ষেপ চায়। গতকাল বৃহস্পতিবার এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. উদুক্সা অ্যান্ড দেন্তসু কনসাল্টিং ফর ফ্রান্সইনফো এবং সংবাদপত্র ফিগাহো পরিচালিত যৌথ জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মাত্র ২৫ শতাংশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষমতায় আসেন এমানুয়েল মাখোঁ। দুই মাস ধরে হলুদ জ্যাকেট পরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে ফ্রান্সের সড়কজুড়ে। এই বিক্ষোভ ‘ইয়েলো ভেস্ট’ নামে ব্যাপক প্রচারও পেয়েছে। এই ‘ইয়েলো ভেস্ট’ বিক্ষোভ মাখোঁ সরকারকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। জ্বালানি খাতে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তসহ বেশ কিছু নীতির ব্যাপারে নমনীয় হতে বাধ্য হন মাখোঁ। তাঁর ২০ মাসের সরকার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তবে বিক্ষোভের মধ্যেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে বেকার–ভাতা ও চাকরির ক্ষেত্রে সংস্কার আনার অঙ্গীকার করেছেন। বুধ ও বৃহস্পতিবার পরিচালিত জরিপে অংশ নিয়েছেন এক হাজার চারজন। ২০১৮ সালের এপ্রিলেও একটি জরিপ চালায় তারা। ওই সময়ে ৫৯ শতাংশ সরকারের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আর এবার সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশের সংখ্যা বেড়ে ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৪ শতাংশ মানুষ ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন। এর আগের জরিপগুলোতে বেকারত্বের বিষয়টি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উদ্বেগের জায়গায় ছিল। এবার সেটা নেমে চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে।
1,573,163
2019-01-04
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকার হলেন ন্যান্সি পেলোসি
null
অনলাইন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1573158/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF
northamerica
online
2
null
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হলেন ডেমোক্রেটিক দলের ন্যান্সি পেলোসি। এ পদে আসীন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর। মধ্যবর্তী নির্বাচনে জিতে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ডেমোক্রেটিক দল। গতকাল প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে সেখানে ডেমোক্র্যাট আধিপত্য শুরু হলো। এবারের কংগ্রেস নানা জাতি. ধর্ম. বর্ণের নির্বাচিত সদস্যের কারণে বৈচিত্র্যময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়. ন্যান্সি পেলোসি (৭৮) ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট। তিনি এমন একসময়ে নির্বাচিত হলেন. যখন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের দেয়াল নির্মাণে বাজেট বিতর্ক ইস্যুতে ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম বন্ধ। ডেমোক্র্যাটরা এই দেয়াল নির্মাণের বিরোধিতা করে বাজেট বরাদ্দে সিনেটে সমর্থন দেননি। অন্যদিকে ট্রাম্প বরাদ্দ না পেলে অন্যান্য বাজেট বরাদ্দের কাগজপত্রে সই করবেন না বলে জানিয়েছেন। দুই পক্ষের অবস্থান পরিবর্তন না হওয়ায় বাজেট না পেয়ে ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বড়দিনের আগে ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই অচলাবস্থা এখনো কাটেনি। এ অবস্থায় প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য এই ইস্যুতে তাঁদের বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। স্পিকার নির্বাচিত হয়ে ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন. তিনি চান এ অচলাবস্থার সমাপ্তি হোক। তবে তিনি সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে সমর্থন দেবেন না বলে জানিয়েছেন।ন্যান্সি বলেন. যুক্তরাষ্ট্রে নারীর ভোটাধিকারের শতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের সময়ে কংগ্রেসে নারী স্পিকার হতে পেরে তিনি গর্বিত। এবার কংগ্রেসে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১০২ জন নারী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬ জন নতুন নির্বাচিত। আর রেকর্ডসংখ্যক ৪৩ জন অশ্বেতাঙ্গ. যদিও অতীতের নির্বাচনে রিপাবলিকান নারীরা অনেক ক্ষেত্রে প্রথম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের প্রথমবার কোনো নারী সিনেটর হয়েছিলেন রিপাবলিকান মার্শা ব্ল্যাকবার্ন। তবে এবার সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি নতুন নারী নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের। প্রথমবারের মতো দুজন মুসলিম নারী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন মিশিগান থেকে নির্বাচিত ফিলিস্তিন মুসলিম রাশিদা ত্লায়েব এবং মিনেসোটার সোমালি মুসলিম ইলহান ওমর। দুজন আদিবাসী নারীও প্রথমবারের মতো কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন নিউ মেক্সিকোর দেব্রা হালান্দ এবং কানসাসের শ্যারিস ডেভিডস। শপথ অনুষ্ঠানে যেখানে ডেমোক্র্যাটরা নানা ধর্ম–বর্ণের নারী-পুরুষের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি উদ্‌যাপন করছিল. তখন বিপরীত চিত্র দেখা গেছে রিপাবলিকান শিবিরে। নির্বাচিত রিপাবলিকানদের বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। প্রতিনিধি পরিষদে শপথ নেওয়ার সময়ে ক্যাপিটল ভবনটিতে সবচেয়ে বড় মেঘ হিসেবে ছিল ফেডারেল সরকারের একাংশের কাজকর্ম বন্ধ থাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো সরকারের কাজকর্ম বন্ধ থাকার বিষয়টি এত দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। এটা ইতিমধ্যে একটি কংগ্রেস শেষ করে পরবর্তী কংগ্রেসের সময়ে গিয়ে ঠেকেছে। এরপরও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি ভরে ওঠে সমর্থকদের প্রতি নির্বাচিতদের পুষ্পশোভিত বক্তব্যে। তবে এ উপলক্ষে শ্যাম্পেইন গ্রহণ পর্বটি সংক্ষেপ করা হয়. কারণ কংগ্রেসের প্রকৃত কাজ খুব দ্রুত শুরুর তাগাদা ছিল। ফেডারেল সরকারের কাজকর্ম শুরুর জন্য ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের সময় নির্ধারণ করেন শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। ইতিমধ্যে সিনেটে রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের দেয়াল নির্মাণের পক্ষে দাবিকৃত অর্থের ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছেন। ন্যান্সি পেলোসি ও তাঁর দলের নির্বাচিত সদস্যরা ফেডারেল চাকা সচল করতে বিল পাস করার কথা বলেছেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন. এই বিলে সীমান্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি থাকবে না।সিনেটে রিপাবলিকানরা বলেছেন. প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়া কোনো বিল তাঁরা পাস করবেন না। ফলে অচলাবস্থা আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ বরাদ্দ না হলে বাজেটসংক্রান্ত কোনো আইনে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছেন. তাঁরা ১৩০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ বরাদ্দ সমর্থন করবেন না। ট্রাম্প যে পরিমাণ অর্থ চেয়েছেন. এর আগে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে তা পাস হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টের কাছে তা পৌঁছানোর আগে সিনেটে ৬০ ভোটে পাস হতে হবে। আর সিনেটে রিপাবলিকানদের আসন রয়েছে ৫১টি। মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে মোট সদস্য ৫৩৫ জন। এর মধ্যে সিনেটে ১০০ জন ও প্রতিনিধি পরিষদে ৪৩৫ জন সদস্য রয়েছেন। হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনকক্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ন্যান্সি পেলোসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন. ‘এটা অনেক বড়. অনেক বড় একটি অর্জন। আশা করা যায়. আমরা একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি।’
1,573,158
2019-01-04
ডাবল সেঞ্চুরি হলো না পূজারার. রান পাহাড়ে ভারত
null
খেলা ডেস্ক
৪৫
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573156/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4
sports
online
3
ক্রিকেট|টেস্ট ক্রিকেট|ভারত|অস্ট্রেলিয়া
নিজে ডাবল সেঞ্চুরিটা পেতে গিয়েও পাননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে সেঞ্চুরিটা ঠিকই পেয়েছেন ঋষভ পন্ত। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৫৯ রানে। প্রথম ইনিংসে ভারত ৭ উইকেটে ৬২২ রান তুলে সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন নিজেদের প্রথম ইনিংসের। নিজে ডাবল সেঞ্চুরিটা পেতে গিয়েও পাননি। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে সেঞ্চুরিটা ঠিকই পেয়েছেন ঋষভ পন্ত। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৫৯ রানে। প্রথম ইনিংসে ভারত ৭ উইকেটে ৬২২ রান তুলে সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন নিজেদের প্রথম ইনিংসের। সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ডাবল সেঞ্চুরিটা পেতে গিয়েও পেলেন না চেতেশ্বর পূজারা। ১৯৩ রানে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু তিনি ডাবল সেঞ্চুরি না পেলেও ভারত কিন্তু ঠিকই রান পাহাড়ে চড়েছে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৬২২ রান তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে বিরাট কোহলির দল। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঋষভ পন্ত। ১৫৯ রানে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি।৩৭২ বল খেলেছেন সফলভাবে। নিজেকে ডাবল সেঞ্চুরি থেকে যখন ৭ রান দূরে দেখছেন. ঠিক তখনই ভুলটা করলেন পূজারা। মুখোমুখি হওয়া ৩৭৩তম বলে নাথান লায়নের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরের দিকে হাঁটলেন। ইনিংসে ২২টি বাউন্ডারি মেরেছেন সৌরাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান।কাল ছয় নম্বরে নেমে হনুমা বিহারি বেশ ভালোই খেলছিলেন। আজ তাঁর ইনিংসটি শেষ হয়েছে ৪২ রানে। বিহারির পর ব্যাটিংয়ে নেমেই বাজিমাত করেছেন পন্ত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন। প্রথমে পূজারার সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি. পরে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ২০৪ যোগ করেই দলকে নিয়ে যান বড় সংগ্রহের দিকে। ১৫৯ রান তিনি করেছেন ১৮৯ বলে। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৫টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কার মার। জাদেজা অবশ্য লায়নের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ৮১ রান। ১১৪ বলে ৭ বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংসটি।অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ বোলাররা প্রায় সবাই সিডনিতে এখনো পর্যন্ত খুব ভালো কিছু করতে পারেননি। মিচেল স্টার্ক. জস হ্যাজলউড. প্যাট কামিন্স. নাথান লায়নরা সবাই একশ রানের বেশি খরচ করেছেন। লায়ন অবশ্য ৪ উইকেট পেয়েছেন ১৭৮ রানের খরচায়। স্টার্ক দিয়েছেন ১২৩. হ্যাজলউড ১০৫. কামিন্স ১০১। হ্যাজলউড ২টি আর স্টার্ক তুলে নিয়েছেন ১ উইকেট।টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল ভারত। শুরুটা তেমন ভালো না হলেও প্রথম দিনের নায়ক ছিলেন পূজারা। তিনি প্রথমে মৈনাক আগারওয়াল ও পরে বিরাট কোহলি. আজিঙ্কা রাহানে ও হনুমা বিহারিকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন। আগারওয়াল আউট হন ৭৭ রানে।
1,573,156
2019-01-04
একের বদলে ১৩
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/international/article/1573154/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2
international
online
3
কানাডা|এশিয়া|চীন
কানাডার ১৩ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে চীন। গতকাল বৃহস্পতিবার কানাডার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে. চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝুকে গত মাসে গ্রেপ্তারের পর থেকে চীন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যখন একটি টানাপোড়েনের সম্পর্ক চলছে. ঠিক তখনই গ্রেপ্তার হন মেং ওয়ানঝু। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যর্পণ অনুরোধে ১ ডিসেম্বর কানাডার ভাঙ্কুভার বিমানবন্দরে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানে প্রযুক্তি বিক্রি করার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি হংকং থেকে মেক্সিকো যাচ্ছিলেন। ভাঙ্কুভার বিমানবন্দরে তাঁর যাত্রাবিরতি ছিল। মেং ওয়ানঝু হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে এবং প্রতিষ্ঠানটির সিএফও। কানাডা সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়. চীন যে ১৩ জনকে আটক করেছে. এর মধ্যে কমপক্ষে ৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে. তা প্রকাশ করা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিবৃতি দেওয়ার আগ পর্যন্ত মাত্র তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। মেংকে গ্রেপ্তারের পর থেকে চীন ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক উদ্বেগ বেড়েছে। কানাডা অবশ্য কয়েকবার বলেছে. তাদের দেশের নাগরিকদের আটক করার সঙ্গে মেং ওয়ানঝুর গ্রেপ্তারের সম্পর্ক নেই। তবে বেইজিংভিত্তিক পশ্চিমা কূটনীতিক ও কানাডার সাবেক কূটনীতিকেরা বলছেন. কানাডার নাগরিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি চীন ‘ইটের বদলে পাটকেল’ হিসেবেই নিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর ৭৪ লাখ মার্কিন ডলারে শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন কানাডার আদালত। এখন তিনি ভাঙ্কুভারে নিজের কয়েক লাখ ডলার মূল্যের বাড়িতে থাকছেন। চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুর বিরুদ্ধে ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিষয়ে লড়তে হচ্ছে। তাঁর পায়ে মনিটর যুক্ত করা হয়েছে এবং রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তাঁকে বাড়িতে থাকতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর। কানাডার এক কর্মকর্তা বলেছেন. চীন যাঁদের গ্রেপ্তার করেছে. তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মাইকেল কভরিগ. মাইকেল স্প্যাভর. সারাহ ম্যাকাইভার প্রমুখ। ম্যাকাইভার পেশায় শিক্ষক। তাঁকে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কভরিগ একজন কূটনীতিবিদ আর স্প্যাভর ব্যবসায়ী। এ ছাড়া বেশ কিছু অভিযোগে চীনে ২০০ কানাডার নাগরিককে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে বেইজিং বলেছিল. জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কানাডার দুজন নাগরিককে আটক করেছে তারা। দেশটির আইন ভেঙেছিলেন তাঁরা। কানাডার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে. কানাডার নাগরিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কানাডার নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয় চীন। হুয়াওয়ের ওই নির্বাহীকে দ্রুত ছেড়ে দিতে কানাডার প্রতি আহ্বান জানায় বেইজিং। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে. মেং ওয়ানঝুকে না ছাড়লে তার ভয়ানক পরিণতির সব দায় কানাডাকে ভোগ করতে হবে। মেংকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে. ভাঙ্কুভারে বিমান পরিবর্তনের সময় মেংকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তাঁর অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। এটা অযৌক্তিকভাবে আইন লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী লি উচেং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবিসি অনলাইন এ তথ্য জানায়। চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুর গ্রেপ্তারে কানাডা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আরও পড়ুন:ওয়ানঝুকে ছাড়ো. নইলে ভয়ানক পরিণতি ভোগ করোহুয়াওয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘প্রতারণার’ অভিযোগহুয়াওয়ের কপালে কী আছে?যে কথা মনে করায় কালো রাজহাঁস
1,573,154
2019-01-04
বছরের শুরুতেই ধাক্কা খেল রিয়াল
null
খেলা ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573152/%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2
sports
online
3
রিয়াল মাদ্রিদ|ফুটবল
প্রায় দুই বছর পর খেলায় ফেরা সান্তি কাজোরলার ২ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে জয় বঞ্চিত রেখেছে ভিয়ারিয়াল। বেনজেমা- ভারানের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে কাজোরলার গোলে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। প্রায় দুই বছর পর খেলায় ফেরা সান্তি কাজোরলার ২ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে জয় বঞ্চিত রেখেছে ভিয়ারিয়াল। বেনজেমা- ভারানের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে কাজোরলার গোলে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। বড়দিনের ছুটি শেষে মাঠে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফেরাটা হলো ভুলে যাওয়ার মতোই। নতুন বছরের শুরুটা রাঙাতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে রিয়াল। সান্তি কাজোরলাই মূল সর্বনাশটা করেছেন রিয়ালের। রীতিমতো ত্রাতা হয়ে উঠে করেছেন জোড়া গোল করেই ভিয়ারিয়ালকে এনে দিয়েছেন একটি পয়েন্ট।স্পেনের ইতিহাসে কাজোরলার নাম লেখা থাকবে অন্যভাবে। এক যুদ্ধাহত সৈনিক হিসেবে তাকে চিনে থাকবে সবাই। চোটের কারণে নিজের ক্যারিয়ারের সবটুকু বিসর্জন দেওয়ার পথে ছিলেন কাজোরলা। ২০১৩ সালে চিলির বিপক্ষে ম্যাচে ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলের হাড়ে চিড় ধরে এই কাজোরলার। সে থেকে শুরু। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভিয়ারিয়াল থেকে আর্সেনালে পাড়ি জমানো কাজোরলাকে বেশির ভাগ সময় কাটাতে হতো সাইডলাইনে বসেই। কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃসময় হয়ে আসে ১৬-১৭ মৌসুমে। সেবার ২ বছরের বেশি সময় মাঠের বাইরে বসে কাটাতে হয় তাঁকে। দৌড়ানোর স্টাইলের কারণেই নাকি অ্যাঙ্কেলে সমস্যা হতো তাঁর। এর পরপরই আর্সেনাল থেকে ভিয়ারিয়ালে চলে আসেন। নতুন বছরের প্রথম দিনই ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে রিয়াল ছেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেইলর নাভাস। ভিয়ারিয়াল ম্যাচে মূল একাদশের জন্য কোর্তয়ার ওপরেই ভরসা রাখেন কোচ সান্তিয়াগো সোলারি। তবে ভরসার পাত্র হতে পারেননি তিনি। চার মিনিটের মাথাতেই গোল করেন সান্তি কাজোরলা। রক্ষণের ভুল থেকে পাওয়া বলে পা ছুঁইয়ে ভিয়ারিয়ালকে এগিয়ে নেন কাজোরলা। ভিয়ারিয়ালের জার্সিতে নতুন করে প্রত্যাবর্তনের পর এটিই তার প্রথম গোল। তবে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি রিয়াল মাদ্রিদকে। ৭ মিনিটের মাথায় লুকাস ভাসকেজের বাড়ানো ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে দলকে সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা। এটি এই মৌসুমে তার সপ্তম গোল। ১৯ মিনিটের মাথায় ৩৫ গজ দূরে ফ্রি কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ‘বার্থডে বয়’ টনি ক্রুসের বাড়ানো ফ্রি কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান রাফায়েল ভারানে। ৩২ মিনিটের মাথায় লুকা মদরিচের গোল বাতিল হয় অফসাইডের ফাঁদে পড়ে। প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইসকোকে নামানো হয়েছিল মাঝমাঠের আধিপত্য ধরে রাখতে. কিন্তু ৬৪ মিনিটে লুকা মদরিচকে ওঠানোর পর মাঝমাঠে পুরো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ৬৬ মিনিটে সবচেয়ে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন লুকাস ভাসকেজ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন ভাসকেজ। এমনকি পাশে থাকা বেনজেমাকে পাস দিলেও বল জালে জড়ানো ছিল সহজ ব্যাপার। এরপর থেকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ভিয়ারিয়াল। তবে গোলের মুখ দেখতে অপেক্ষা করতে হয় ৮২ মিনিট পর্যন্ত। ডিবক্সের বাঁ পাশ থেকে বাড়ানো ক্রস ফাঁকায় পেয়ে যান কাজোরলা। হেড করে কর্তোয়ার দুই পায়ের মাঝ দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ভিয়ারিয়ালকে সমতায় ফেরান তিনি। এই গোলের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। এ ড্রয়ে লা লিগায় চতুর্থ অবস্থানেই থাকছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৯ জয় ৩ ড্র আর ৫ হারে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট এখন ৩০। লিগের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়ালের ব্যবধান ৭ পয়েন্টের।
1,573,152
2019-01-04
তিন ধারাবাহিক দিয়ে দীপ্ত টিভির বছর শুরু
null
বিনোদন প্রতিবেদক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573151/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81
entertainment
online
3
টেলিভিশন
দীপ্ত টিভিতে আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন তিনটি ধারাবাহিক নাটক—‘ভালোবাসার আলো-আঁধার’. ‘খলনায়ক’ ও ‘মান অভিমান’। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টিভি ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী উরফী আহমদ ও অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান ফুয়াদ চৌধুরী। এ ছাড়া নাটকগুলোর শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়. শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার এই ধারাবাহিকগুলো প্রচারিত হবে—সন্ধ্যা ছয়টা ও রাত সাড়ে আটটায় ‘খলনায়ক’. সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ও রাত সাড়ে নয়টায় ‘ভালোবাসার আলো-আঁধার’ এবং সন্ধ্যা সাতটা ও রাত নয়টায় ‘মান অভিমান’। ‘খলনায়ক’ নাটকের গল্পে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রুমী ধনীর মেয়ে মেঘকে ভালোবেসে অতি দ্রুত ধনী হওয়ার আশায় পা রাখে অন্ধকার জগতে। বাবা-মা. বোনের চেষ্টায় একসময় সে ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু রুমীর জীবনে ঝড় তোলে মেঘ। নিজের স্বার্থের জন্য রুমীকে সাজায় খলনায়ক। ভালোবাসার সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে সত্য প্রকাশ না করে শহর ছাড়ে রুমী। নতুন শহরে রুমীর প্রেমে পড়ে মাফিয়া গডফাদারের মেয়ে চৈতি। পুরোনো প্রেমের দগদগে ক্ষত আর নতুন প্রেমের হাতছানির ভেতর স্বপ্নভাঙা এক নায়কের গল্প নিয়ে ‘খলনায়ক’। জুনায়েদ হোসেন ও ওয়াহিদুজ্জামান সবুজের রচনা এবং ফিরোজ কবীর ডলারের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর. ইশানা খান. সানজিদা তন্ময়. ফজলুর রহমান বাবু. শিল্পী সরকার অপু. লায়লা হাসান. আল মামুন. রোদেলা. নিকি প্রমুখ। ‘ভালোবাসার আলো-আঁধার’ নাটকের চিত্রনাট্য লিখেছেন ফাহমিদুর রহমান. সংলাপ লিখেছেন নুসরাত জাহান। পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান সোমেন। অভিনয় করেছেন বৈশাখী ঘোষ. শাহেদ শরিফ খান. সাইফুল জার্নাল. সাবিনা দীপ্তি. শম্পা রেজা. আফরোজা বানু. আবুল কাশেম. মিলি মুন্সী. চান্দা মাহজাবিন. রেজাউল সুজন. আইনুন পুতুল. রুহুল. তূর্য. নাজাহ আলাইনাসহ অনেকে। এই নাটকের গল্পে স্বামীর মৃত্যুর পর সব ছেড়ে সন্তানকে আঁকড়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে চেয়েছিল নন্দিনী। কিন্তু লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত সন্তানকে বাঁচাতে সাত বছর পর তাকে ফিরে আসতে হয় ঢাকায়। চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে মরিয়া নন্দিনী কোথাও সাহায্য না পেলে এগিয়ে আসে তার অফিসের বস মাহিন। কিন্তু তার বদলে নন্দিনীকে খোয়াতে হবে আত্মমর্যাদা। ঘৃণা আর ভালোবাসার দ্বন্দ্বের ভেতর একলা মায়ের জয়-পরাজয়ের গল্প নিয়ে দীপ্ত টিভির নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ভালোবাসার আলো-আঁধার’। ‘মান অভিমান’ নাটকের পরিচালক রাজু খান। জেন অস্টেন রচিত 'প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’-এর অনুপ্রেরণায় নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসিমুল হাসান. সংলাপ লিখেছেন সরোয়ার সৈকত। অভিনয় করেছেন সমাপ্তি মাশুক. রোজী সিদ্দিকী. তোফা হাসান. ইফফাত আরা তিথি. শিবলী নওমান. সানজিদা ইপসাসহ আরও অনেকে। এই নাটকের মধ্যবিত্ত পরিবারের রানুকে ভালোবাসে শিল্পপতি রাহাত। সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাহাতের বিত্তশালী বন্ধু ফরহাদ। দাম্ভিক ফরহাদের মতে. গরিব আর ধনীর ভালোবাসা নাটক–সিনেমায় মানালেও বাস্তবে অসম্ভব। আর রানুর বোন বীথি বিশ্বাস করে ভালোবাসা দিয়ে সব অসম্ভবকে জয় করা যায়। একদিন সেই বীথিরই প্রেমে পড়ে ফরহাদ।
1,573,151
2019-01-04
উত্তর–পূর্ব ভারতে ভোটের প্রচারে মোদি-অমিত
null
আগরতলা প্রতিনিধি
https://www.prothomalo.com/international/article/1573149/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E2%80%93%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4
international
online
3
ভারত|বিজেপি|নরেন্দ্র মোদি
উত্তর–পূর্ব ভারতে লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমে পড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মনিপুর আর আসাম সফরে যাচ্ছেন। আগামীকাল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ যাচ্ছেন ত্রিপুরায়। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের এখনো অন্তত তিন মাস বাকি। তার আগেই বিজেপি পুরোদমে ভোটের প্রচারে নেমে পড়ছে। বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। মনিপুরের জঙ্গি সংগঠনগুলো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে বয়কটের ডাক দিয়ে ‘জনতা কারফিউ’ জারি করেছে। সেই বয়কটকে উপেক্ষা করেই আজ মোদি বিজেপি শাসিত মনিপুরে যাচ্ছেন। তাঁর সফর উপলক্ষে অভূতপূর্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলে একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন মোদি। এ ছাড়া ভারত-মিয়ানমার সুসংহত স্থলবন্দর. ডোলাইথাবি ড্যাম. হ্যান্ডলুম এস্টেট প্রভৃতি প্রকল্পও তিনি শুরু করবেন। ইম্ফল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসামের বাঙালি–অধ্যুষিত শিলচরে যাবেন। সেখানে বিজেপির ‘বিজয় সংকল্প সমাবেশে’ তিনি ভাষণ দেবেন । মোদির আসাম সফরের আগেই ৬ দফা প্রশ্ন তুলে তাঁকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। মোদি ২০১৪ সালে একই মাঠে ভাষণ দিতে গিয়ে ছয়টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি পালনের বিষয়ে কংগ্রেস জানতে চেয়েছে। শিলচর থেকে কংগ্রেস নেতা পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন. ‘প্রধানমন্ত্রী আসছেন। খুব ভালো কথা। কিন্তু তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতির কী হলো. সেটা জানিয়ে নিজের চেয়ারের মর্যাদা রক্ষা করুন মোদি।’ বিজেপি অবশ্য কংগ্রেসের কথায় কান দিতে নারাজ। তারা ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল. প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস শিলচরে প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে পৌঁছে গেছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ মোদির পাশাপাশি শনিবার দুদিনের সফরে ত্রিপুরা যাচ্ছেন। দলের প্রদেশ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পৃষ্ঠাপ্রমুখদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। ভারতে ভোটার তালিকার প্রতিটি পাতায় ৩০টি করে ভোটারের নাম থাকে। এপিঠ-ওপিঠ মিলিয়ে ৬০। এই ৬০ জনের জন্য একজন করে নেতা থাকেন। এই নেতার পদটির নাম পান্নাপ্রমুখ বা পৃষ্ঠাপ্রমুখ। বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন. ত্রিপুরায় ৪২ হাজার পৃষ্ঠাপ্রমুখ আছেন তাঁদের। তাঁরা তো আসবেনই। সঙ্গে আসবেন সাধারণ ভোটাররাও। আগরতলার বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক মানুষের জনসমাবেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে দাবি করেন. শনিবার থেকেই তাঁদের লোকসভা ভোটের প্রচারও শুরু হচ্ছে। ভারতে লোকসভার আসনসংখ্যা ৫৪৫টি। এর মধ্যে ২৫টিই উত্তর–পূর্ব ভারতে।
1,573,149
2019-01-04
টেকনাফে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ
null
প্রতিনিধি. টেকনাফ (কক্সবাজার)
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573148/%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B6
bangladesh
online
3
অপরাধ|কক্সবাজার|বন্দুকযুদ্ধ|টেকনাফ|মাদক
কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তির গুলিবদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের ধারণা. অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী হতে পারেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীর জুম্মাপাড়ার টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের ভাষ্য. লাশের পরনে ছিল প্যান্ট ও ফুলহাতা শার্ট। লাশের শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। বুকে ও পেটে দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা. ইয়াবার চালান পাচারের সময় দুই দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তি গুলিতে নিহত হয়ে থাকতে পারেন। বাহারছড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস প্রথম আলোকে বলেন. ‘আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে. তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সুরতহাল করে লাশটি উদ্ধার করে।’ ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন. সকালে গুলিবিদ্ধ লাশটি দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
1,573,148
2019-01-04
ফারহান ও শিবানী বিয়ে করছেন
null
প্রতিনিধি. মুম্বাই
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573147/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8
entertainment
online
3
বলিউড
বলিউডে ২০১৮ সালে বিয়ের উৎসব শুরু হয়েছিল সোনম কাপুরকে দিয়ে। ব্যবসায়ী আনন্দ আহুজার সঙ্গে চার বছর প্রেম করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা অনিল কাপুরের মেয়ে। এরপর গত বছরের ৮ মে তাঁরা বিয়ে করেন। এরপর নেহা ধুপিয়া-অঙ্গদ বেদি. দীপিকা পাড়ুকোন-রণবীর সিং. নিক জোনাস-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া. কপিল শর্মা-গিন্নি শর্মাসহ একাধিক বলিউড তারকা বিয়ে করেছেন। শোনা যাচ্ছে. এ বছর নাকি সবার আগে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন বলিউড তারকা ফারহান আখতার আর সংগীত তারকা শিবানী দান্ডেকর। বলিউডে এখন জোর গুঞ্জন. এই জুটির দীর্ঘদিনের প্রেম এবার বিয়ের রূপ নিতে চলেছে। ফারহান আখতার দ্বিতীয়বার বিয়ে করছেন। এর আগে বলিউড হেয়ার স্টাইলিশ অধুনা ভবানিকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁদের ১৬ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি ঘটে। মাঝে কিছুদিন শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে ফারহানের ঘনিষ্ঠতার কথা শোনা যায়। তবে শিবানী ও ফারহানের সম্পর্ক বেশ গভীর। আর নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা খুব সিরিয়াস। এদিকে শোনা গেছে. ফারহানের দুই কন্যা সাক্ষ্য ও আকিরা নাকি শিবানীকে খুব পছন্দ করে। তাহলে আর বাধা কোথায়! এবার ফারহান-শিবানীর পরবর্তী কদম যে বিয়ে. তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফারহান হামেশাই ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে শিবানীর ছবি পোস্ট করেন। এই রোমান্টিক জুটির ভালোবাসার ঝলক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধরা পড়ে। ফারহান-শিবানী ছাড়া এ বছর কয়েকটি বলিউড জুটির বিয়ের পিঁড়িতে বসার সম্ভাবনা আছে। এই যেমন বরুণ ধাওয়ান-নাতাশা দালাল. অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরা। ফারহান এখন ব্যস্ত ‘স্কাই ইজ পিংক’ ছবির শুটিং নিয়ে। সোনালি বোস পরিচালিত এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাঁদের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন জায়রা ওয়াসিম।
1,573,147
2019-01-04
কপিল এত নিচে নামলেন!
null
প্রতিনিধি. মুম্বাই
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573145/%E0%A6%95%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8
entertainment
online
3
বলিউড
২০১৮ মোটেও ভালো কাটেনি সঞ্চালক ও কৌতুক অভিনেতা কপিল শর্মার। তবে বছরের একদম শেষে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। নতুন জীবন শুরু করেছেন তিনি। সনি চ্যানেলে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’। পাশাপাশি দীর্ঘ দিনের বান্ধবী গিন্নি ছত্রাতের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। জীবনটাকে ঠিকঠাক গুছিয়ে নিলেও আর্থিক দিক থেকে তাঁকে অনেক নিচে নামতে হয়েছে। জানা গেছে. একেবারেই কম পারিশ্রমিকে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ সঞ্চালনা করছেন তিনি। গত ২৯ ডিসেম্বর ঘটা করে শুরু হলো ‘দ্য কপিল শর্মা শো’। কপিল শর্মার ফিরে আসায় তাঁর ভক্তরা দারুণ খুশি। অনুষ্ঠানটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা ফিরে পাচ্ছে। এদিকে আর্থিক দিক থেকে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। ১ বা ২ লাখ রুপি নয়. প্রায় ৫০ লাখ রুপির ঝটকা! তবে এই ক্ষতি তিনি মুখ বুজে সহ্য করছেন। কারণ কপিল শর্মা এবার অনুষ্ঠানটি সালমান খানের সঙ্গে যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন। এর আগে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ তিনি নিজেই প্রযোজনা করেছেন। ২০১৬ সালে কপিলের সঙ্গী ছিলেন সুনীল গ্রোভার. কিকু শারদা আর চন্দন প্রভাকর। তখন কপিল শর্মা প্রতি পর্বের জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছেন ৬০ থেকে ৮০ লাখ রুপি। কিন্তু এখন প্রতি পর্বের জন্য যা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন. তা একেবারই কম। জানা গেছে. কপিল শর্মার পারিশ্রমিক এক ধাক্কায় ১৫ লাখ রুপিতে নেমে এসেছে। অনুষ্ঠানটিতে এবার কপিলের সঙ্গে আছেন ভারতী সিং আর কৃষ্ণা। তাঁরা প্রত্যেকে প্রতি পর্বের জন্য পাচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ রুপি। ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ ধীরে ধীরে আবার জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু কপিল শর্মা নিজের আর্থিক ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন. তা বলা মুশকিল। এর আগে সনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
1,573,145
2019-01-04
সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. নোয়াখালী
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573144/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A7%A7
bangladesh
online
3
নোয়াখালী|আইন ও বিচার|চট্টগ্রাম বিভাগ|ধর্ষণ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের এক গ্রামে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সবশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম জসিম উদ্দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় এ নিয়ে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন. গত রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জসিম মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। তবে তদন্তে তাঁর নাম এসেছে। তাই জড়িত সন্দেহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া জসিমকে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীতে আনা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন. তিনি পেশায় অটোচালক। এক মাসের বেশি সময় অসুস্থ. অটোরিকশাটিও বিকল। আয়-রোজগারও নেই। অসুস্থতার কারণে ভোটের দিন (৩০ ডিসেম্বর) কেন্দ্রেও যাননি। স্ত্রী আশপাশের কয়েকজনের সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। ভোট দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রে বেচু. সোহেল. স্বপনসহ কয়েকজনের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। তারা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে রাতে তারা বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করে সন্তানসহ সবাইকে বেঁধে ফেলে এবং স্ত্রীকে ঘরের বাইরে নিয়ে পিটিয়ে আহত এবং ধর্ষণ করে। নির্যাতনের শিকার নারী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারধরের শিকার তাঁর স্বামীও। গতকাল সকালে ওই নারী বলেন. গত তিন দিনের চিকিৎসায় তাঁর অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। শরীরে এখনো প্রচণ্ড ব্যথা। ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ গতকাল বিকেলে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন গতকাল বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানায়. এ মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জসিম ছাড়া অন্যরা হলেন ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত চরজুবলী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিন (৪০). প্রধান আসামি মো. সোহেল (৪০). আসামি মো. বেচু (২৫). মো. স্বপন (৩৫). বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০)। ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ৩১ ডিসেম্বর নয়জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো পাঁচজন গ্রেপ্তারের বাইরে রয়েছেন।
1,573,144
2019-01-04
পালাবে কোথায়?
null
অনলাইন ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/technology/article/1573141/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95
technology
online
3
খবরাখবর|ফেসবুক
ফেসবুক নানা উপায়ে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে। কিন্তু যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করেন না. তাঁরা কি নিশ্চিন্তে আছেন? আসলে কারও নিশ্চিন্তে থাকার উপায় নেই। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাক বা না থাক. ইন্টারনেট দুনিয়ার সবার তথ্য সংগ্রহ করছে ফেসবুক। গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল বলছে. বিভিন্ন অ্যাপ নির্মাতারা ফেসবুকের কাছে তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাই যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করছেন না. বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের তথ্যও ফেসবুকের কাছে চলে যাচ্ছে। গত ৩০ ডিসেম্বর প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল ‘হাউ অ্যাপস অন অ্যান্ড্রয়েড শেয়ার ডেটা উইথ ফেসবুক’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও কীভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়. সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ওই গ্রুপের বিশেষজ্ঞরা ৩৪টি অ্যাপ নিয়ে পরীক্ষা চালান। এর মধ্যে ২১টি অ্যাপের মাধ্যমে ফেসবুকের কাছে স্বয়ংক্রিয় তথ্য পাঠাতে দেখেছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা বলেন. ৬০ শতাংশের বেশি অ্যাপ থেকে ফেসবুকের কাছে তথ্য পাচার করা হয়। অ্যাপ খোলামাত্রই ফেসবুকের কাছে তথ্য চলে যায়। এসব অ্যাপের মধ্যে ডুয়োলিঙ্গ. কায়াক. শাঝাম. স্পটিফাই. ট্রিপ অ্যাডভাইজর ও ইয়েলপের মতো জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে। সম্প্রতি জার্মানির লেইপজিগে ৩৫তম ক্যাওস কমিউনিকেশনস কংগ্রেস হ্যাকার সম্মেলনে ওই তথ্য তুলে ধরে প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল। অবশ্য তারা বলেছে. এই তথ্য শেয়ার ঠেকানোর কোনো পথ নেই। আপনি ফেসবুকে লগইন করেন বা না করেন. আপনার অ্যাকাউন্ট থাক বা না থাক. ফেসবুকের কাছে তথ্য যাবেই। শুধু অ্যান্ড্রয়েড নয়. আইওএস প্ল্যাটফর্মের কিছু অ্যাপ থেকেও একইভাবে তথ্য পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন. যে অ্যাপগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে. তার বাইরেও অনেক অ্যাপ থেকে নানা রকম তথ্য নিতে পারে ফেসবুক। যেমন আপনি কোন অ্যাপ কখন ব্যবহার করেন. ফেসবুক সে তথ্য সঙ্গে সঙ্গে জানছে। কোনো অ্যাপ ইনস্টল করলে বা মুছে ফেললেও তা জানতে পারে ফেসবুক। এর আগে ফেসবুকের বিনা মূল্যের অনাভো প্রটেক্ট ভিপিএন অ্যাপ এ ধরনের কাজ করত। বিষয়টি জানার পর আইওএস প্ল্যাটফর্ম থেকে তা সরিয়ে দেয় অ্যাপল। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি নির্ভর করে গুগল অ্যাডভারটাইজিং আইডির (এএআইডি) ওপর। অ্যাপে বিজ্ঞাপনদাতারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন অ্যাপ থেকে ব্রাউজিংয়ের আচরণের বিষয়টি ব্যবহার করেন। গুগলের অ্যাড আইডি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেটের বিভিন্ন আচরণ ধরা হয়। এ ক্ষেত্রে লোকেশন সার্ভিসকে কাজে লাগানো হয়। এ ধরনের প্রাইভেসি লঙ্ঘনের জন্য অ্যাপ নির্মাতাদের দোষারোপ করা যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়. যেসব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকের অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট (এসডিকে) ব্যবহার করা হয়. সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকে তথ্য দেয়। অ্যাপ নির্মাতা ওই ফাংশন পুরোপুরি বন্ধ করতে পারে না। আইওএস প্ল্যাটফর্মেও একইরকম ফেসবুক এসডিকে ব্যবহার হয়। অবশ্য ফেসবুকের মতোই অন্যান্য অনলাইন বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান মোবাইল অ্যাপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তবে গত বছর থেকে ফেসবুক প্রাইভেসির ক্ষেত্রে বিষয়টিকে আরও বড় করে তুলেছে। দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে. ফেসবুককে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো পথ থাকছে না। ফেসবুক ছেড়ে পালানোর পথ নেই। তথ্যসূত্র: দ্য রেজিস্টার।
1,573,141
2019-01-04
ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573140/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%A7%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%9C
bangladesh
online
3
ছাত্রলীগ|রাজনীতি|প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ৪ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ছাত্রলীগের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বায়ান্নর ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন. সাতান্নর শিক্ষক ধর্মঘট. বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন. উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান. একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। স্বাধীন বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সংগ্রামী ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। তবে সময়ের পরিক্রমায় ছাত্রলীগ একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়। নিজেদের মধ্যে দলাদলি. অন্তর্কোন্দল. হামলা-মারামারিসহ নানা কারণে ছাত্রলীগের সমালোচনাও আছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ চার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। তবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে ছাত্রলীগ। জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগও দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তারা আজ বেলা ১১টায় কলা ভবনের সামনে বটতলায় সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করবে। জাসদ ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে। জাসদের সর্বশেষ কাউন্সিলে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগও দুটি আলাদা কমিটি করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিতসৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন–পরবর্তী সব কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বাদ জুমা সব সাংগঠনিক ইউনিটকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. শুক্রবার সকালে শুধু জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া পরবর্তী সব কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক. বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন।
1,573,140
2019-01-04
ভারতে সর্পদংশনে সবেচয়ে বেশি মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গে
null
প্রতিনিধি. কলকাতা
null
https://www.prothomalo.com/international/article/1573139/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87
international
online
3
ভারত|পশ্চিমবঙ্গ|সাপ
ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর প্রদেশ। ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে সাপের কামড়ে ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮ সালেও সাপের কামড়ে মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে ভারতের এ রাজ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেশব্যাপী সমীক্ষা শেষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল হেলথ প্রোফাইল-১৮’ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেই প্রতিবেদন। ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে সাপের কামড় খেয়েছে ২৯ হাজার ৭ জন। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৪৮১। ২০১৬ সালেও সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। মৃত্যু হয়েছিল ১৩৮ জনের। এরপর ছিল উত্তর প্রদেশ। সেখানে ২০১৭ সালে মারা গেছে ১২৫ জন। মধ্য প্রদেশে ৭৫ জন. অন্ধ্রপ্রদেশে ৮৪ জন এবং ওডিশায় ৮৩ জন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়. পশ্চিমবঙ্গে সাপের কামড়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা. পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর. বাঁকুরা. বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। বেশি মৃত্যু হয় চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে। এ ছাড়া মারা গেছে কালাচ. কেউটে. গোখরা সাপের কামড়ে।
1,573,139
2019-01-04
কিলোমিটারে রূপ নিচ্ছে পদ্মা সেতু
null
কমল জোহা খান. ঢাকা
১৩৬
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573136/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81
bangladesh
online
3
সরকার|পদ্মা সেতু|পদ্মা সেতু প্রকল্প
দেড় শ মিটার নিয়ে একটি একটি করে পাঁচটি স্প্যান বসে একটু একটু করে দীর্ঘ হচ্ছিল পদ্মা সেতু। পাঁচ স্প্যানের দৈর্ঘ্য হয় ৭৫০ মিটার। এবার ষষ্ঠ স্প্যান বসতে যাচ্ছে প্রমত্তা এই নদীর ওপর। আগুয়ান ফেব্রুয়ারিতে আরও একটি স্প্যান বসে যেতে পারে। পরপর দুই মাসে দুটি স্প্যান বসার পর পদ্মা সেতুর এক কিলোমিটারের বেশি অংশ দৃশ্যমান হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন. ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ষষ্ঠ স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে বসানো হবে। এ ছাড়া মাওয়া প্রান্তে স্প্যান স্থাপনের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে. মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের সামনে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্প্যান দুটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। ষষ্ঠ স্প্যানটি বসানো হবে সেতুর ৩৭ ও ৩৬ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর। আর সপ্তম স্প্যানটি ৩৬ ও ৩৫ পিলার দুটিতে বসানো হবে। কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও স্প্যান প্রস্তুত করার কাজ বেশ দ্রুত চলছে বলে জানান পদ্মা সেতু প্রকল্পের এক প্রকৌশলী। তিনি বলেন. কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও পাঁচটি স্প্যানের ৯০ শতাংশ প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে। এ মাসের মধ্যে এসব স্প্যান প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই স্প্যানগুলো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বসানো হবে। তবে আপাতত জাজিরা প্রান্ত থেকে স্প্যান বসানোর কাজ চলবে। ৬ ও ৭ নম্বর পিলার নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার মাওয়া প্রান্তে স্প্যান আপাতত বসানো হচ্ছে না। এই দুটি পিলারের কাজ শেষ হলে মাওয়ায় স্প্যান বসানো শুরু হবে। তবে মাঝ নদীতে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলার দুটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত বছরের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। সবশেষ ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের এটিই শেষ স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়। দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। খুঁটির ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হবে. এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। প্রতিটি পিলারের রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হবে। ৪২টি খুঁটির ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। এর মধ্যে ৩টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে সমুদ্রপথে জাহাজে করে আনা হয় বাংলাদেশে। ফিটিং করা হয় মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। তবে কাদামাটির পরই শক্ত মাটি না পাওয়ায় পদ্মা সেতুর ১৪টি পিলারের মধ্যে ১টি করে পাইলের সংখ্যা বাড়ানো হয়। স্প্যানের মতো পিলার নির্মাণের কাজও বেশ দ্রুত চলছে। পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে. মূল নদীতে ৪০টি পিলার রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি পিলারের নির্মাণকাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ১৪টি পিলারের কাজ আগামী মার্চ মাসের শেষে সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। বাকি ১১টি পিলারের পাইল ড্রাইভের কাজ চলছে। পিলার ও স্প্যানের পাশাপাশি সেতুতে রেলপথের জন্য স্ল্যাব বসানোর কাজ চলছে। দুটি রেলওয়ের স্ল্যাব বসানো হয়ে গেছে। এ মাসেই শুরু হবে ২২ মিটার প্রস্থের রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর পুরো প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৭২ শতাংশ। এ ছাড়া নদী শাসনের কাজ হয়েছে ৪৮ শতাংশ। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা. সংযোগ সড়ক. অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
1,573,136
2019-01-04
আট আসনে জামানত হারাচ্ছেন ৩১ জন
পঞ্চগড় ও দিনাজপুর
প্রতিনিধি. পঞ্চগড়
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573134/%E0%A6%86%E0%A6%9F-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A7%A9%E0%A7%A7-%E0%A6%9C%E0%A6%A8
bangladesh
online
3
আওয়ামী লীগ|রাজনীতি|বিএনপি|একাদশ সংসদ নির্বাচন|পঞ্চগড়|জাতীয় পার্টি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুটি আসনের ১০ জন এবং দিনাজপুরের ছয়টি আসনের ২১ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা ছাড়া অন্য ১০ জন প্রার্থীই তাঁদের জামানত হারিয়েছেন। পঞ্চগড় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম বলেন. নিয়ম অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ২০ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই আসনের সব ভোটকেন্দ্রে পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হয়। পঞ্চগড়-১ আসনে পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল্লাহ ৩ হাজার ৪৫৩. জাকের পার্টির মো. সুমন রানা. ৩ হাজার ৩৯৯. জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) আল রাশেদ প্রধান ১ হাজার ৪১২. জাতীয় পার্টির আবু সালেক ৭২৯ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ মো. হাবিবুর রহমান ১৩২ ভোট পেয়েছেন। পঞ্চগড়-২ আসনে জামানত হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের কামরুল হাসান ২ হাজার ৫২৬. জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির তাসমিয়া প্রধান ১ হাজার ৬৭০ ভোট. সিপিবির আশরাফুল আলম ৬৪১. জাতীয় পার্টির লুৎফর রহমান ৩৫৪ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী ফয়জুর রহমান ১৩২ ভোট পেয়েছেন। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছয়জন প্রার্থী। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪২৩টি ভোট পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জামানত ফেরত পেতে প্রয়োজন হবে ৩৫ হাজার ৩০৩ ভোটের। ওই পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে জাগপার মো. আরিফুল ইসলাম. ইসলামী আন্দোলনের আশরাফুল আলম. জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম ও মুসলিম লীগের প্রার্থী সৈয়দ মনজুর উল করিমের। দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ আসনে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৩২টি ভোট পড়েছে। জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীকে ৩১ হাজার ১৭ ভোটের। কিন্তু ওই ভোট না পাওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের মো. হাবিবুর রহমান. জাতীয় পার্টির জুলফিকার হোসেন. মুসলিম লীগের মো. এরশাদ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন। এ আসনের কেন্দ্রগুলোতে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৭৫ ভোট পড়েছে। জামানত ফিরে পেতে দরকার ছিল ৩৪ হাজার ৬৪৭ ভোট। কিন্তু ওই ভোট না পওয়ায় বিকল্পধারার আশরাফুল ইসলাম. সিপিবির মো. বদিউজ্জামান ও মুসলিম লীগের প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ উল করিম জামানত হারিয়েছেন। দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে সাতজন প্রার্থী ছিল। এ আসনের কেন্দ্রগুলোতে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৫টি ভোট পড়েছে। জামানত বাঁচাতে ৩৩ হাজার ৪৪৭ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওই ভোট না পাওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের মিজানুর রহমান. জাতীয় পার্টির মোনাজাত চৌধুরী. মুসলিম লীগের মোজাফফর হোসেন. সিপিবির রেয়াজুল ইসলাম এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী সাজেদুল আলম চৌধুরীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে ইসলামী আন্দোলনের মো. মতিউর রহমান. ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শওকত আলী. বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শফিকুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান সামী জামানত হারিয়েছেন। দিনাজপুর-৬ আসনে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৬টি ভোট পড়েছে। জামানত রক্ষার জন্য ৪৪ হাজার ৩৯২ ভোট পাওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু ওই ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের নুর আলম সিদ্দিক এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহিদা খাতুন।
1,573,134
2019-01-04
ভবঘুরে গরু-ছাগলের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র
null
প্রতিনিধি. কলকাতা
https://www.prothomalo.com/international/article/1573127/%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0
international
online
3
ভারত|বিজেপি
জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ। এই রাজ্যের শাসনক্ষমতায় এখন বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ এই রাজ্যের বহু ঐতিহাসিক স্থানের নাম বদলে দিয়েছেন। ওই রাজ্যে গো-হত্যা. গো-ব্যবসা বন্ধ করেছেন। রক্ষা করছেন গরু। তিনি এবার রাজ্যজুড়ে ভবঘুরে গরু-ছাগলের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকার চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন. ভবঘুরে গরু-ছাগলের অত্যাচারে তাঁরা অতিষ্ঠ। এসব গরু-ছাগল নষ্ট করে দিচ্ছে খেতের ফসল। তাই চাষিদের কথা মাথায় রেখে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবার গরু-ছাগলের পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে ভবঘুরে গরু-ছাগল আর কৃষকের খেতের ফসল নষ্ট করতে না পারে। এই আশ্রয়কেন্দ্র গড়ার জন্য সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র চালানোর জন্য রাজ্য সরকার বড় ব্যবসায়ীদের ওপর ২ শতাংশ ‘গো-কল্যাণ সেস’ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন লাভজনক সংস্থা ও বাজার কমিটির আয়ের ওপর এই কর ধার্য করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত বুধবার রাতে রাজ্যের সব জেলা শাসকদের এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন. ১০ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের সব ভবঘুরে গরু-ছাগলকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। রাজ্যের কৃষক ও সাধারণ মানুষ যাতে ভবঘুরে গরু-ছাগল নিয়ে কোনো সমস্যায় না পড়েন. তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেছেন. যাঁরা বাড়ির পোষা গরু-ছাগল রাস্তায় ছেড়ে দেবেন. তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরিমানা করা হবে মোটা টাকা। এই আশ্রয়কেন্দ্র চালানোর জন্য রাজ্যের জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সাহায্য নেওয়া হবে। ভবঘুরে গরু-ছাগলের ফসল নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরে আলিগড় ও ফৈজাবাদ জেলার কয়েকটি গ্রামের চাষিরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁরা এলাকার বেশ কিছু ভবঘুরে গরু-ছাগল ধরে এনে স্কুলে তালা দিয়ে রাখেন। তাঁরা ঘোষণা দেন. এ নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওই গরু-ছাগল আটকে রাখবেন। এ খবর পৌঁছার পর মুখ্যমন্ত্রী ভবঘুরে গরু-ছাগলের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দেন।
1,573,127
2019-01-04
চুয়াডাঙ্গায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত
null
প্রতিনিধি. চুয়াডাঙ্গা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573122/%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E2%80%99-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80
bangladesh
online
3
খুলনা বিভাগ|অপরাধ|বন্দুকযুদ্ধ|চুয়াডাঙ্গা|মাদক
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল বারেক (৪০) নামের সন্দেহভাজন এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র. গুলি ও ফেনসিডিল উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুক্তারপুর-নলডাঙ্গা মাঠে কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। পুলিশ বলছে. নিহত বারেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রয়েছে। বারেকের বাড়ি উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা মিশনপাড়ায়। বাবার নাম আব্দুল গণি। বন্দুকযুদ্ধে আহত পুলিশের সদস্যরা হলেন দামুড়হুদা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার. এসআই রাম প্রসাদ. সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা. কনস্টেবল নাহিদ হোসেন ও ফজলে রাব্বী। বারেকের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে পুলিশের আহত সদস্যদের। দামুড়হুদা মডেল থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) এএসআই রওশন আলীর ভাষ্য. গতকাল দিবাগত রাতে একদল মাদক পাচারকারী মুক্তারপুর-নলডাঙ্গা মাঠে অবস্থান করছে বলে খবর পায় পুলিশ। রাত একটার দিকে পুলিশ অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক পাচারকারীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে মাদক পাচারকারীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী বারেককে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের আহত সদস্যদেরও ‍উদ্ধার করা হয়। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বারেককে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পুলিশের আহত সদস্যদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এএসআই রওশন আলী বলেন. ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান. দুটি গুলি. দুটি রামদা ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
1,573,122
2019-01-04
বিপিএলের পুরো সূচি দেখুন এখানে
null
খেলা ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573121/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8B-%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87
sports
online
3
ক্রিকেট|বিপিএল টি২০|টি টোয়েন্টি ক্রিকেট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর শুরু হচ্ছে আগামীকাল। প্রতিদিন হবে দুটি করে ম্যাচ। শুক্রবার প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বেলা দুইটায়। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোয় প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। আগের টুর্নামেন্টগুলোর মতো এবারও ঢাকা. চট্টগ্রাম ও সিলেটে খেলা হবে। প্রথম ১৪ ম্যাচের পর ১৫ জানুয়ারি থেকে সিলেটে হবে বিপিএলের ৮টি ম্যাচ। ২১ জানুয়ারি আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। মিরপুরে ৬ ম্যাচ খেলার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্বের খেলা। সেখানে ৬ দিনে হবে ১০টি ম্যাচ। ১ ফেব্রুয়ারি আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল. চারটি লিগ ম্যাচের পর শুরু হবে প্লে অফ ও ফাইনাল। ৪ ফেব্রুয়ারি এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার। ৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে এলিমিনেটরে বিজয়ী ও প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দল। প্রতিটি প্লে অফ ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। ফাইনাল ৮ ফেব্রুয়ারি। বিপিএলের সূচি তারিখ ভেন্যু ডে ম্যাচ নাইট ম্যাচ জানুয়ারি ০৫. ২০১৯ ঢাকা রংপুর রাইডার্স বনাম চিটাগং ভাইকিংস ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রাজশাহী কিংস জানুয়ারি ০৬. ২০১৯ ঢাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস বনা্ম সিলেট সিক্সার্স খুলনা টাইটানস বনাম রংপুর রাইডার্স জানুয়ারি ০৮. ২০১৯ ঢাকা ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম খুলনা টাইটানস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস বনাম রংপুর রাইডার্স জানুয়ারি ০৯. ২০১৯ ঢাকা সিলেট সিক্সার্স বনাম চিটাগং ভাইকিংস খুলনা টাইটানস বনাম রাজশাহী কিংস জানুয়ারি ১১. ২০১৯ ঢাকা ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রংপুর রাইডার্স কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস বনাম রাজশাহী কিংস জানুয়ারি ১২. ২০১৯ ঢাকা চিটাগং ভাইকিংস বনাম খুলনা টাইটানস ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম সিলেট সিক্সার্স জানুয়ারি ১৩. ২০১৯ ঢাকা রংপুর রাইডার্স বনাম রাজশাহী কিংস চিটাগং ভাইকিংস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস জানুয়ারি ১৫. ২০১৯ সিলেট খুলনা টাইটানস বনাম রাজশাহী কিংস সিলেট সিক্সার্স বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস জানুয়ারি ১৬. ২০১৯ সিলেট ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রাজশাহী কিংস সিলেট সিক্সার্স বনাম রংপুর রাইডার্স জানুয়ারি ১৮. ২০১৯ সিলেট সিলেট সিক্সার্স বনাম ঢাকা ডায়নামাইটস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস বনাম খুলনা টাইটানস জানুয়ারি ১৯. ২০১৯ সিলেট সিলেট সিক্সার্স বনাম রংপুর রাইডার্স চিটাগং ভাইকিংস বনাম খুলনা টাইটানস জানুয়ারি ২১. ২০১৯ ঢাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস বনাম রাজশাহী কিংস ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম চিটাগং ভাইকিংস জানুয়ারি ২২. ২০১৯ ঢাকা খুলনা টাইটানস বনাম রংপুর রাইডার্স ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস জানুয়ারি ২৩. ২০১৯ ঢাকা চিটাগং ভাইকিংস বনাম রাজশাহী কিংস খুলনা টাইটানস বনাম সিলেট সিক্সার্স জানুয়ারি ২৫. ২০১৯ চট্টগ্রাম সিলেট সিক্সার্স বনাম রাজশাহী কিংস চিটাগং ভাইকিংস বনাম রংপুর রাইডার্স জানুয়ারি ২৬. ২০১৯ চট্টগ্রাম সিলেট সিক্সার্স বনাম খুলনা টাইটানস চিটাগং ভাইকিংস বনাম রাজশাহী কিংস জানুয়ারি ২৮. ২০১৯ চট্টগ্রাম খুলনা টাইটানস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম রংপুর রাইডার্স জানুয়ারি ২৯. ২০১৯ চট্টগ্রাম চিটাগং ভাইকিংস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস রংপুর রাইডার্স বনাম রাজশাহী কিংস জানুয়ারি ৩০. ২০১৯ চট্টগ্রাম চিটাগং ভাইকিংস বনাম ঢাকা ডায়নামাইটস সিলেট সিক্সার্স বনাম রাজশাহী কিংস ফেব্রুয়ারি ০১. ২০১৯ ঢাকা ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস চিটাগং ভাইকিংস বনাম সিলেট সিক্সার্স ফেব্রুয়ারি ০২. ২০১৯ ঢাকা রংপুর রাইডার্স বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ঢাকা ডায়নামাইটস বনাম খুলনা টাইটানস ফেব্রুয়ারি ০৪. ২০১৯ ঢাকা এলিমেনেটর (৩য় বনাম ৪র্থ) প্রথম কোয়ালিফায়ার (প্রথম বনাম দ্বিতীয়) ফেব্রুয়ারি ৬. ২০১৯ ঢাকা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার (পরাজিত দল ৪৪ বনাম জয়ী দল ৪৩) ফেব্রুয়ারি ৮. ২০১৯ ঢাকা ফাইনাল ফেব্রুয়ারি ৯. ২০১৮ ঢাকা ফাইনালের রিজার্ভ দিন
1,573,121
2019-01-04
টিভিতে আজকের খেলা সূচি
null
খেলা ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573120/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%BF
sports
online
3
আজকের খেলা|ফুটবল|ক্রিকেট
টেলিভিশনের পর্দায় আজ যেসব খেলা দেখবেন: ৪র্থ টেস্ট-২য় দিন সনি সিক্স অস্ট্রেলিয়া-ভারত ভোর ৫-৩০ মি. ২য় টেস্ট-২য় দিন সনি ইএসপিএন দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান বেলা ২-৩০ মি. হপম্যান কাপ সনি টেন ২ এইচডি স্পেন-ফ্রান্স সকাল ৮টা অস্ট্রেলিয়া-জার্মানি বেলা ৩-১৫ মি. টেনিস সনি টেন ২ ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনাল সকাল ১১টা ও বিকেল ৫টা এনবিএ সনি টেন ১ সান আন্তোনিও-টরন্টো সকাল ৭টা গোল্ডেন স্টেট-হিউস্টন সকাল ৯-৩০ মি. বিগ ব্যাশ লিগ সনি সিক্স হারিকেনস-সিক্সার্স বেলা ২-১৫ মি. আই লিগ স্টার স্পোর্টস ৩ নেরোকা-শিলং বেলা ২-৩০ মি. চেন্নাই-গোকুলাম বিকেল ৫-৩০ মি. টেনিস স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২ মহারাষ্ট্র ওপেন বিকেল ৫-১৫ মি. ব্যাডমিন্টন স্টার স্পোর্টস ১ প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন লিগ সন্ধ্যা ৭-২০ মি.
1,573,120
2019-01-04
‘ফাইনাল’ তবে ম্যানচেস্টার সিটিই জিতল
null
খেলা ডেস্ক
https://www.prothomalo.com/sports/article/1573119/%E2%80%98%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E2%80%99-%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B2
sports
online
3
ফুটবল|লিভারপুল|ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটির হয়ে ১টি করে গোল করেন আগুয়েরো ও সানে। লিভারপুলের একমাত্র গোলটি করেন রবার্তো ফিরমিনো। ম্যাচটিকে বলা হচ্ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ‘ফাইনাল’। কাগজে-কলমে মোটেও নয়। কিন্তু যে গতিতে লিভারপুল এগোচ্ছিল তাতে সিটির জন্য এই ম্যাচ অলিখিত ফাইনালই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই ম্যাচ আগে লিভারপুলের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্টের ব্যবধান ছিল ৭। হারলেই সেটা গিয়ে দাঁড়াত ১০-এ। তাই ম্যাচটি সিটির জন্য রীতিমতো বাঁচা-মরার লড়াইয়ে পরিণত হয়। লিভারপুলকে আতিথ্য জানানোর আগে সিটি কোচ গার্দিওলা সেটা স্বীকারও করে নিয়েছেন। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটিই। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ—আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদেরই। তবে দুই দলই আক্রমণের বুফে সাজিয়ে বসেছিল। শুধু বাকি ছিল গোলমুখ খোলার। সেটা পারছিল না কোনো দলই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে. ম্যাচের ৪০তম মিনিটে গোলের দেখা পায় ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের সীমানা থেকে ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে না পারার খেসারত দেয় লিভারপুল। সিলভার বাড়ানো বল থেকে গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সার্জিও আগুয়েরো। প্রিমিয়ার লিগের পরিসংখ্যান বলছে. ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে এই প্রথম গোলের জন্য এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় সিটিকে। আগুয়েরোর গোলের পর প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণে মনোযোগী হয়ে ওঠে। এতে কাজও হয়। ৬৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে লিভারপুল। আলেক্সান্ডর আরনল্ড লম্বা ক্রস পান ফাঁকায় জায়গা করে নেওয়া রবার্টসন। রবার্টসনের আড়াআড়ি শটে উড়ে গিয়ে মাথা ছোঁয়ান ফিরমিনো। লিভারপুলের এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলে সমতায় ফেরে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। লিগে এ নিয়ে আট গোল করেন ফিরমিনো। এর মিনিট দু-এক আগেও গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন ফিরমিনো। কে জানে সেটা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচটা হয়তো হারতে হতো না! এর আগে ম্যাচের ১৯তম মিনিটেও গোলের সুযোগ পায় লিভারপুল। কোনোমতে সেটা রক্ষা করেন সিটির স্টোনস। গোললাইন টেকনোলজি ব্যবহার করে দেখা যায় অল্পের জন্য গোললাইন পার হয়নি বল। সে যা-ই হোক. খুব বেশি সময় সমতা ধরে রাখতে পারেনি লিভারপুল। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে অতিথিদের বুকে ফের ছুরি চালায় সিটি। এবার হন্তারক সানে। সানের কোনাকুনি নেওয়া শট গোলপোস্টে লেগে জালে জড়ায়। স্বাগতিকদের সমর্থকেরা ততক্ষণে জয়ের উল্লাস শুরু করে দিয়েছেন। এরপর অবশ্য ৮২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় সিটি। তবে লিভারপুলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক অ্যালিসন। ৯০তম মিনিটে সুযোগ পায় লিভারপুলও। এবার সালাহর শট আটকে দেন সিটির গোলরক্ষক।
1,573,119
2019-01-04
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিত করল ছাত্রলীগ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573118/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%82%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97
bangladesh
online
3
ছাত্রলীগ|রাজনীতি|প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে ছাত্রলীগ। শুক্রবার এবং এর পরবর্তী সব কর্মসূচি স্থগিত করে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন পরবর্তী সকল কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার বাদ জুমা সব সাংগঠনিক ইউনিটকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়. শুক্রবার সকালে শুধুমাত্র জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া পরবর্তী সব কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।প্রসঙ্গত. ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছিল ছাত্রসংগঠনটি। এর আগে. বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং বৃহস্পতিবার রাতে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক. বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন।
1,573,118
2019-01-05
মুক্তিযুদ্ধের গল্পমালা
না বলা গল্প
আদনান সৈয়দ
null
https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1573338/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE
northamerica
print
1
null
[১৯৭১ সালে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য কিশোর. যুবক. বৃদ্ধ সবার চোখেমুখ তখন আগুনে তাতিয়ে থাকত। তাদের মুখের ভাষা তখন একটাই. ‘যুদ্ধে যাব’। অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন. আবার অনেকেই বয়স কম হওয়ার কারণে যুদ্ধে যেতে পারেননি। লেখক. সাংবাদিক ও নাট্যকার আহমেদ মুসাও এর ব্যতিক্রম নন। মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আমাকে অযোগ্য বিবেচনা করা হলো। বারবার লাইনে দাঁড়াই. কাজ হয় না। আমার ডান-বাম থেকে সবাইকে নেয়. আমাকে নেয় না। কারণ একটাই. বয়স যে কম তা শুধু নয়. অসম্ভব রোগা আমি। ওদের ধারণা. আমি বন্দুকই আগলাতে পারব না। কিন্তু আমি জানতাম পারব। তাই হাল না ছেড়ে বারবার দাঁড়াতাম লাইনে।’ কিন্তু আহমেদ মুসার রক্তে ছিল যুদ্ধের যাওয়ার দৃঢ়তা। চলুন সেই গল্পটি শুনি আহমেদ মুসার মুখ থেকেই] গল্প-৭বিজয়ের আলোয় সুখ-দুঃখ ও গৌরবের গল্পমনে পড়ে. ১৯৭০ সালে আমি যখন ভোটারও হইনি. নৌকায় ভোট দিয়েছিলাম তিনটি। সারা দেশটাই তখন নৌকাময়। আমার মতো অতি উৎসাহীদের কর্মকাণ্ড ছাড়াই নৌকার বিজয় একই রকম হতো সন্দেহ নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা!ইয়াহিয়া খান যখন ৩ মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলেন. বাঙালিরা হয়ে উঠলেন মারমুখী। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি তখন ঐক্যবদ্ধ। মাওলানা ভাসানী. অধ্যাপক মোজাফ্ফর. মনি সিং প্রমুখ স্বাধীনতার মৌলিক প্রশ্নে একমত। ব্যক্তি নেতৃত্বের একগুঁয়েমিতে তাঁরা জাতিকে বিভক্ত করেননি। ঝুঁকি নেননি। ওয়াক ওভার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে. দিয়েছেন সহায়তা-পরামর্শ। এ এক অনন্য মহানুভবতা।৩ মার্চের পর এক রাতে কারফিউ ভাঙার জন্য কাশেম ভাইয়ের ছোট ভাই ওয়াদুদসহ আমরা কয়েকজন মিছিল করে মহল্লা থেকে স্লোগান দিতে দিতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে যাচ্ছিলাম। সাকুরার কাছে যাওয়ার পরপরই ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান নেওয়া পাকিস্তানি সৈন্যরা ফাঁকা গুলি শুরু করে। তখনো আমাদের নির্বিচারে হত্যার লাইসেন্স তারা পায়নি বলে বেঁচে গেলাম সেই যাত্রা। দৌড়ে চলে আসি বাসায়। এ ঘটনার পর মার্চের মাঝামাঝি আমার মা. ভাবি ও ছোট ভাই ইউসুফসহ আমাকে জোর করে গ্রামের বাড়ি আড়াইহাজারের ইজারকান্দিতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। ঢাকায় রয়ে গেলেন বড় ভাই মহিউদ্দিন আহমেদ ও বাবা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। গ্রামের বাড়ি গিয়ে মন টিকছিল না। মনে হচ্ছিল এত বড় আন্দোলন ও আয়োজন থেকে দূরে থাকব? আমি কি এতই ভীরু? এরপর একেবারে মালির ঘাড়ে গিয়ে পড়লাম। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় উপস্থিত হলাম ঢাকার বাসায়। আমাকে দেখে সবাই উৎকণ্ঠিত। অনেক পথ হাঁটার কারণে ক্লান্ত ছিলাম বলে ঘুমিয়ে পড়লাম। কতক্ষণ পরে ঘুম থেকে উঠে জানলাম. খোলা জিপে শেখ কামাল ও আওরঙ্গ আমাদের মহল্লায় এসে কাশেম ভাইকে কিছু নির্দেশ দিয়ে দ্রুত চলে গেছেন। আমাদের গলিতে ব্যারিকেড দেওয়া শুরু করলাম। আমাদের দোকানের মাত্র কয়েক গজ দূরে দি পিপল ও গণবাংলা পত্রিকার অফিস। টিক্কা খান বেজায় খাপ্পা ছিল পত্রিকা দুটির ওপর. বিশেষ করে টিক্কার ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপা হওয়ায়। আমাদের ছোটাছুটির মধ্যেই শুরু হয়ে গেল ধরপাকড়। রাত ১২টার পর বিভীষিকা নেমে এল ঢাকায়। আমরা লুকোলাম হোটেল গ্রিনে। লুকোনো অবস্থায়ই দেখলাম দি পিপল ও গণবাংলায় আগুন দিচ্ছে পাকিস্তানি মিলিশিয়ারা। সঙ্গে নিপ্পন মোটরস জ্বলল। পাশের কাঁটাবন বস্তিতে দেখলাম আগুনের শিখা। হোটেল গ্রিন থেকে পূর্ব পাশের সাকুরা পর্যন্ত বামপাশের প্রতিটি দোকান পুড়িয়ে দিল তারা। হোটেল গ্রিন আর তার সামনে আমাদের দোকানসহ অনেক দোকান ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল। কারণ এই জায়গার মালিক ইয়াহিয়া খানের দূর সম্পর্কের বোন নওয়াব আয়েশা বেগম। বিহারিরা এখানে থাকে বলে মহল্লাটাও বেঁচে গেল। প্রায় দুই দিন অবরুদ্ধ থাকার পর শুক্রবার জুমার নামাজের আগে কারফিউ তোলার পর আমরা তিনজন তিন দিকে বেরিয়ে পড়লাম. যাতে মারা পড়লেও একসঙ্গে সবাই না মরি। আমি চলে গেলাম বন্ধু আনিসের সঙ্গে কলাকোপার আগলী-গালিমপুরে। আনিস নিপ্পন মোটরসে কাজ করত। বাবা গেলেন কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের সঙ্গে। বড় ভাই গেলেন আরেক কাফেলায়।গ্রিন হোটেল থেকে বের হয়ে প্রথম দেখলাম আমার এক বন্ধুর লাশ. আমাদের এলাকার খাগকান্দার সিদ্দিক ভাই। সাকুরার পাশে তার দোকানে জ্বলন্ত অঙ্গার হয়ে বসে আছেন। খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম। আমরা প্রায়ই একসঙ্গে দোকানের মাল কিনতে মৌলভীবাজার যেতাম. এক লঞ্চে বাড়ি ফিরতাম। এই দোকানের মালিক ছিলেন এমদাদুল হক ভূঁইয়া. যিনি ১৯৯৬ সালে আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ হয়েছিলেন। তার আগে ছিলেন জাতীয় পার্টির উপজেলা চেয়ারম্যান। তিনি পাকিস্তান আমলে কসকো নামক এক পাকিস্তানি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মাঝে মাঝে কথা হতো তখন।শাহবাগ হয়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে ডানে-বামে অসংখ্য লাশ ও আহত মানুষ পেছনে ফেলে ভীত মানুষের কাফেলার সঙ্গে সারা দিন হেঁটে সন্ধ্যায় পৌঁছলাম গালিমপুর। গ্রামের রাস্তার দুপাশে দেখলাম খাদ্য ও পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত মানুষ। শিশুদের জন্য নিয়ে এসেছে দুধ। বাঙালির নৈতিকতায় সেদিন এসেছিল প্লাবন. যা আমরা ধরে রাখতে পারলে ইতিহাস হতো অন্যরকম।গালিমপুর থেকে পরের সপ্তায় দুই দিন হেঁটে বাড়িতে পৌঁছে দেখি আব্বা আর বড় ভাই আগেই পৌঁছে গেছেন। স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লাম।আমাদের এলাকাটি মেঘনা নদী পরিবেষ্টিত দুর্গম চর। চৌদ্দটি গ্রাম নিয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন। কেউ কেউ বলেন চৌদ্দমৌজা। চার পাশের মেঘনা দিয়ে আর্মি আসা-যাওয়া করলেও চরের ভেতর কখনো ঢোকেনি। পাকিস্তানের সমর্থক ও মালেক মন্ত্রিসভার এসএম সোলায়মানের কিছু অনুগামী থাকলেও তারা তেমন মাথাচাড়া দেয়নি। দু-চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা অবশ্য ঘটেছিল। একবার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে গোপনে এসএম সোলায়মানের কেএসপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে হাতে লেখা পোস্টার সাঁটা হয়েছিল. গ্রামের বাজারের ভবনের দেয়ালে। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন উত্তেজনা বিরাজ করে। কেউ কেউ সেনাবাহিনী ডেকে আনার হুমকিও দিয়েছিল। মনে পড়ে. এ নিয়ে শেষে একটি গ্রাম্য সালিসও হয়েছিল কালাপাহাড়িয়া গ্রামের আমবাগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো অশান্তি হয়নি।আমাদের এলাকা থেকে মুক্তিযুদ্ধে একটি বড় দল গিয়েছিল। আড়াইহাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন আবদুস সামাদ। শামসুল হক ছিলেন নাম করা মুক্তিযোদ্ধা যিনি ১৯৮৯ সালে বিএনপি থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। আমাদের ইউনিয়নের মূল নীতিনির্ধারক ছিলেন আমার বাবার দুই মামা. কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়সহ স্থানীয় মেডিকেল ও আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আবদুর রশিদ ও মিয়া মোহাম্মদ এরশাদউল্লা। এলাকার মানুষের কাছে খুবই শ্রদ্ধাভাজন এই দুজন ছিলেন যথাক্রমে সমাজকল্যাণ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। তাদের পরামর্শক্রমেই দুজন রাজাকার বাহিনীতে গিয়ে অস্ত্র হাতিয়ে মুক্তিযুদ্ধে চলে যান। তখন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকেও রাজাকারদের প্রতি অস্ত্রসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছিল। এ ছাড়া এলাকার শান্তি কমিটি যাতে সত্যিকারের পাকিস্তানপন্থীদের হাতে চলে না যায় ও এলাকায় পাকিস্তানি সৈন্যদের যাতে ডেকে আনতে না পারে. সে জন্য আবদুর রশিদ ও মিয়া মোহাম্মদ এরশাদউল্লাহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে আওয়ামী লীগেরই একজনকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান করেন। ফলে আমাদের অঞ্চল পাকিস্তানিদের আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়। আমাদের ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন কদমিরচর গ্রামের ফজলুল হক। ইনি বেশ কয়েকবার ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। একাত্তরে তিনিও দুজনেরই বাছাই করা কমান্ডার ছিলেন।আমরা ঢাকার দোকান ফেলে বাড়িতে গিয়েছিলাম প্রায় খালি হাতে। গ্রামে গিয়ে আমাদের একটি জমি বন্ধক রেখে বাজারে দোকান কিনলাম। মূলত বড় ভাই দেখাশোনা করতেন দোকান। এর আয় দিয়েই কোন রকম সংসার চলতো। সে জন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তার মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া হয়নি। এপ্রিলের মাঝামাঝি বাবা বললেন. ঢাকা গিয়ে দোকান থেকে অন্তত কিছু মালপত্র নিয়ে আসবেন। তাঁর বয়স ও পরহেজগার অবয়ব দেখে সৈন্যরা তাকে কিছু করবে না বলে জানালেন। আমি তাঁর সঙ্গে যাওয়ার বায়না ধরলাম। তখন ঢাকা কিশোর-যুবকদের জন্য ভয়ানক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেককে মিলিটারি ধরে নিয়ে মেরে ফেলার সংবাদ গ্রামে থেকেই পেতাম। কারণ আমাদের এলাকার কিছু সরকারি–বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজে যোগ দিয়েছিলেন। বাবা প্রথমে ইতস্তত করলেও সঙ্গে নিতে রাজি হন। তার ধারণামতে. আমার বয়স ও শারীরিক কাঠামো মিলিটারির দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো ছিল না। কিন্তু হোটেল গ্রিনে পৌঁছার পর আমাকে আনায় সবাই বাবাকে দুষতে লাগলেন। গ্রিন হোটেলে আমার এক খালুও কাজ করতেন। দীন ইসলাম নামের একজন আত্মীয়ও ছিলেন। সবাই আমাকে তক্ষুণি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে বললেন। আমি ছাত্রলীগ করা ছেলে হিসেবে বিহারিদের কাছে চিহ্নিত ছিলাম বলে এই দুশ্চিন্তা। বাবা শেষে আমাকে কিছু দামি কিন্তু হালকা মাল নিয়ে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে চাবি দিলেন আমার হাতে।গ্রিন হোটেল থেকে বের হয়ে দেখি মার্চের গোড়ার দিকে আমার হাতে লেখা ‘চিকা’র ওপর সাদা রঙ্গের প্রলেপ। হাসান আসকারীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর তার মাঠে পড়ে থাকা ম্যানহোলের কয়েক হাজার পাইপ খাড়া করে ঘেরাও সৃষ্টি করা হয়েছিল। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমি কয়েকজনকে নিয়ে এসব পাইপের ওপর স্লোগান লিখেছিলাম। একেকটা পাইপে একটা করে অক্ষর। যেসব স্লোগান লিখেছিলাম সেসবের মধ্যে ছিল. ‘জয় বাংলা. তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’. ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব লও লও লও সালাম’. ‘তোমার আমার ঠিকানা. পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ ইত্যাদি। লেখার ওপর প্রলেপ দেখে খারাপ লাগলেও আশ্বস্ত হলাম এই ভেবে যে. এগুলো যে আমার হাতের লেখা সেটা আর প্রমাণ করা যাবে না। অবশ্য লেখার সময় কিছু অবাঙালি যুবকও আমাদের সুনজরে থাকতে উৎসাহ দিয়েছিল। এখনতো অবস্থা পাল্টে গেছে। চিন্তিত অবস্থায় দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালাম।আমাকে দোকানের সামনে দেখে প্রতিবেশী বিহারি সেলিম মিস্ত্রি এগিয়ে এসে যা বলল. তার সারমর্ম হচ্ছে. এবার ভালো একটা গোসল দিয়ে দোকান খুলে বস. তোমার কোনো ভয় নেই. আমরা আছি ইত্যাদি। এই লোকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। একসঙ্গে ভলিবল খেলতাম। তারপরও গোসলের কথা বলল ঈঙ্গিতপূর্ণভাবে। অর্থাৎ. আগে আন্দোলন-সংগ্রাম যা করেছ. ভুলে গিয়ে পরিশুদ্ধ হও। আরেক প্রতিবেশী বিহারি গোলাম হোসেন টিটকারি দিয়ে বলল. ‘কোথায় গেল তোমাদের সাড়ে সাত কোটি!’ মনটা খারাপ হয়ে গেল। আরও কিছু বিহারি ছেলেমেয়েকে আসতে দেখে দোকান খোলা নিরাপদ মনে করলাম না। গ্রিন হোটেলে ফিরে বাবার হাতে চাবি দিয়ে সব বললাম। বাবা বললেন. তুই এখানেই অপেক্ষা কর। আমি কিছু মাল নিয়ে আসি।বাবা দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন কাশেম ভাইয়ের দোকানের সামনে নওয়াব আয়েশা বেগম দাঁড়িয়ে কয়েকজন বিহারিকে চিৎকার করে বলছে. ‘ইয়ে কাফের কাশেম কা দোকান। লুট লো সব...।’ পাশে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকজন সৈন্য। আমরা হোটেল থেকেই তার চিৎকার শুনছিলাম। বাবাও আমাদের দোকান না খুলে আবার ফেরত এলেন। এবার আর কাউকে কিছু বলতে হলো না। আমি গ্রিনের পেছন দিয়ে মহল্লার শেষ কোনা ধরে শুকুর মোহাম্মদের বাড়িতে ঢোকার চিন্তা করলাম। দেয়াল টপকানোর প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেখি. বিহারি আহমদ আলীর স্ত্রী আমাকে ডাকছেন। বিহারিদের মধ্যে এই পরিবারটিকে সজ্জন হিসেবে দেখেছি। তাই খুব একটা ঘাবড়ালাম না। তিনি এসে আমার হাত ধরে তার বাসায় নিয়ে এলেন। একসময় আমরা এই বাসায় ভাড়া থাকতাম। আমার মা তাকে খুব পছন্দ করতেন। আমি কোনো ভুল করলে মা নিজে না বকে তার কাছে বলতেন। তিনি আমাকে তিরস্কার করে সাবধান করতেন। ঘরে ঢোকার পর তিনিও উর্দুতে অনুযোগ করলেন. ‘আমি কেন আসলাম।’ তিনি দ্রুত ভাত বেড়ে দিলেন। আমি খেতে থাকি।আহমদ আলীর স্ত্রী বললেন. আর্মি শহর কবজা করেছে। এরপর গ্রামে ছড়িয়ে পড়বে। সাবধানে থেকো। তার অভয় পেয়ে বের হয়ে আমি মহল্লার এবার গলি ধরে চলে এলাম লোক প্রশাসন ভবনের কাছে। সেখানে থামের আড়ালে দাঁড়িয়ে জিরিয়ে নিলাম কতক্ষণ। তারপর ডানে-বামে দেখে বামে শাহবাগ হোটেল পেরিয়ে চলে এলাম তৎকালীন রেডিও পাকিস্তান অফিসের সামনে. বাস স্টপে। রাস্তায় একজনমাত্র পরিচিতের সঙ্গে দেখা হলো। পাঞ্জাবি ক্ষৌরকার আল্লাদাত্তা খানের ছেলে। নামটা ভুলে গেছি। অতিশয় গরিব বলে মাঝে মাঝে ওকে এটা-সেটা দিতাম। সে কুশল জিজ্ঞেস করে তার পথে চলে গেল। সে হয়তো ভেবেছিল মহল্লাতেই আছি। বাস থামতেই দ্রুত উঠে পড়লাম। বাসে বসে মনে মনে ভাবতে চেষ্টা করলাম. ঠিক এই সময়টাতেই কাশেম ভাইয়ের দোকান লুট করতে নওয়াব আয়েশা বেগম কেন আর্মি ডেকে আনলেন? ব্যাপারটি কাকতালীয়ও হতে পারে। আমাদের জন্য আর্মি ডেকে আনলে বাবা ও আমাকে নিশ্চয় তুলে দিতেন আর্মির হাতে। লুট করাতেন আমাদের দোকানও। হয়তো বাবাকে দেখার পর তার কাশেম ভাইয়ের কথা স্মরণ হয়েছে। হতে পারে আমাদের ভয় দিতে তিনি এটা করেছেন। এমনও হতে পারে. আমার বাবা শ্মশ্রুমণ্ডিত পরহেজগার হওয়ায় তিনি খানিকটা সমীহ করতেন বলেই হয়তো সেদিন তাকে মিলিটারির হাতে তুলে দেননি। ভয়ের মধ্যেও আমার সবচেয়ে কৌতূহল লাগছিল এই নারীর আচরণ। প্রায় সারা দিন মাতাল অবস্থায় থাকা এই নারীর হাতে জ্বলে দামি সিগারেট। খিস্তি করেন অহরহ। এই নারী যখন কাশেম ভাইকে ‘কাফের’ বলে গালি দেন. তখন তাদের ইসলামের মানে কতই না ঠুনকো ঠেকে। তখন আওয়ামী লীগ ও ন্যাপসহ আন্দোলনরত সবাই তাদের কাছে কাফের। বিশেষ করে নওয়াব হাসান আসকারি ও খাজা শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আগুন দেওয়ার কারণে মাওলানা ভাসানীর অনুসারীদের প্রতি তাদের বিদ্বেষ আরও বেড়ে যায়। মহল্লার বিহারিরা ছড়া কাটতে শুরু করে. ‘সর্দি-কাশি-হাঁপানি. মাওলানা ভাসানী।’নওয়াব আয়েশা বেগম শুধু নয়. খাজা তোফায়েল. খাজা হাবিবুল্লা প্রমুখ দূর থেকে দেখলেই আমরা দামি সিগারেট সব লুকিয়ে ফেলতাম। কারণ. সেসব দেখলে তারা বিনে পয়সায় থাবা মেরে নিয়ে যেতেন। জায়গা ও বাড়িভাড়া ছাড়া তাদের আর কোনো রোজগার ছিল না। কিন্তু খাই ছিল অনেক বেশি। তবে নওয়াব আয়েশা বেগমকে আমার ছিটগ্রস্ত মনে হয়েছে। তার নাতি মানে মুন্নীর বাচ্চা থালা ভাঙার শব্দে একবার আনন্দ পেয়েছিল দেখে নওয়াব বেগম প্রায়ই অনেক নতুন থালা কিনে নাতিকে ভাঙতে দিতেন. সেই শব্দে তিনিও বিমল আনন্দ পেতেন। ঘরের জনাপাঁচেক মানুষের জন্য কাজের লোক ছিল ডজনখানেক। কাউকেই বেতন দেওয়া হতো না। ওটা–সেটা দিয়ে নানাভাবে পুষিয়ে নিতেন। কাউকে কাউকে থাকার জন্য কিছু জায়গা দেখিয়ে দেওয়া হতো। ওরা আবার ছাপড়া তুলে সেগুলো গরিব মানুষের কাছে ভাড়া দিতেন। রোজার মাসে শুধু ইফতারের জিনিসপত্র কেনার জন্য থাকত সাত্তার নামের এক আধা-বাঙালি। নওয়াব আয়েশা বেগম রোজায় গরিবদের ইফতার খাওয়াতেন. যদিও তার মদ্যপানে দিনেও বিরতি হতো না। আমি অবাক হয়ে দেখতাম. এই নারীই আবার ইফতারের জন্য সবচেয়ে ভালো মসুর ডাল ও খাঁটি সরিষার তেল আনাতেন দূরের রহমত ওয়েল মিলের গেট থেকে। যা হোক. আয়েশার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার বড় কারণ. তিনি ইয়াহিয়া খানের আত্মীয় হওয়ায় ২৫ মার্চ আমরা কয়েক শ মানুষ বেঁচে গিয়েছিলাম। আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল আমাদের দোকানটিও। বাবা পরে এক সময়ে দোকানের কিছু মাল আনতে পেরেছিলেন। কিছু মাল হাওয়া হয়ে যায়।আজ আমার ওজন শরীরের সঙ্গে মানানসইয়ের চেয়ে বেশি। কিন্তু একাত্তরে ছিলাম লিকলিকে. মাত্র পঁচানব্বই পাউন্ড। ক্লাস টেনে উঠেছি মাত্র। বাড়িতে কয়েক দিন থাকার পর গ্রামের বন্ধু সিরাজকে নিয়ে পালিয়ে গেলাম আগরতলা। লুঙ্গির নিচে একটি ছোট চাদর ঢুকিয়ে বাড়ি থেকে নৌকায় গেলাম চন্দনপুর। মার কাছ থেকে বিদায় নিলাম চন্দনপুর বাজারে যাওয়ার কথা বলে। সেখান থেকে লঞ্চে রামকৃষ্ণপুর। সেখান থেকে চারঘাটে রাত কাটিয়ে গেলাম এক গ্রামে। নাম সম্ভবত মনিয়ন্দ। রাতে পার হলাম সিঅ্যান্ডবি ব্রিজ। রাজাকাররা শরণার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু দুই টাকা করে নিল। যারা মুক্তিযুদ্ধ করতে যাচ্ছে তাদের ফ্রি। রেললাইন পার হয়ে অনেকক্ষণ হেঁটে ও ট্রাকে করে পৌঁছলাম আগরতলা। প্রথমে গেলাম কংগ্রেস ভবনে। তার আগে পরিচিত একজনকে ধরে আওয়ামী লীগের এক নেতার কাছ থেকে সনদ নিলাম। (পরে বর্ণনা শুনে ও ঘটনা পরম্পরায় জানতে পেরেছিলাম. ইনি ছিলেন ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাবা কফিল উদ্দিন চৌধুরী)। একদিন পর আমাদের পাঠানো হলো হাপানিয়া বেজ ক্যাম্পে। এখান থেকে প্রশিক্ষণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বাছাই করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য. আমাকে মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষণ নেওয়ার অযোগ্য বিবেচনা করা হলো। বারবার লাইনে দাঁড়াই. কাজ হয় না। আমার ডান-বাম থেকে সবাইকে নেয়. আমাকে নেয় না। কারণ একটাই. বয়স যে কম তা শুধু নয়. অসম্ভব রোগা আমি। ওদের ধারণা. আমি বন্দুকই আগলাতে পারব না। কিন্তু আমি জানতাম পারব। তাই হাল না ছেড়ে বারবার দাঁড়াতাম লাইনে। একবার সিরাজকে রিক্রুট করল. কিন্তু আমাকে করল না। সিরাজ আবার আমাকে ছাড়া যাবে না। আমার জন্য বেচারার যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়া হলো না। এক সময় কঠিন পেটের পীড়া ও আমাশয় হয়ে গেল. হওয়ারই কথা। বেজ ক্যাম্পে ভাত দিত এক বেলা। সন্ধ্যার পর। প্রায় পচে যাওয়া আতপ চালের মধ্যে পোকাও থাকত যা সন্ধ্যার অন্ধকারে দেখা না যাওয়ায় ভালোই হতো। সঙ্গে কথিত ডাল. প্রায় পানিই বলা যায় একে। তবে শুনতাম. যারা প্রশিক্ষণ নিতে যেত. সেখানে আরও উন্নত খাবার ছিল। এসব নিয়ে কারওই কোনো অনুযোগ ছিল না. আমাদেরও না। ভারত সাধ্যমতো যথেষ্ট করেছিল। কিন্তু অসুখ তো কিছুই বিবেচনা করে না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ত। অবস্থা সংকটজনক দেখে আগস্টে ফিরে এলাম বাড়িতে। আবার সুস্থ হয়ে নভেম্বরে এলাকার আরও ৩০ জন একসঙ্গে রওনা হলাম ত্রিপুরায়। এদের মধ্যে ছিলেন ঝাউকান্দির আবুল কাশেম. কালাপাহাড়িয়ার শফিকুল ইসলাম সিদ্দিক. স্থানীয় অভিনেতা আবদুর রহমান. স্নেহভাজন সাংবাদিক শেখ ফরিদের বাবা আবদুল লতিফ ও প্রথম সঙ্গে যাওয়া সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এবার আর পালিয়ে নয়। মা. বাবা ও বড় ভাই নৌকায় তুলে দিলেন। গতবার পালিয়ে যাওয়ার সময়ও আসলে মা টের পেয়েছিলেন। পরে বলেছেন. মা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য রোজা রেখেছিলেন কয়েকটা। বাবাও নামাজ পড়ে দোয়া করতেন দ্রুত স্বাধীনতার জন্য। বিহারিদের সঙ্গে তাঁরও ছিল অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা।কিন্তু সেবার আর সীমান্ত পার হওয়া গেল না। সীমান্তে তখন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আলবদর. আলশামস সদস্যরাও পাহারা দিচ্ছিল। মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের যাওয়া-আসা কঠিন হয়ে পড়ল। কারণ. আলবদর-আলশামস স্থানীয় বলে জানত কোন কোন পয়েন্ট বন্ধ করতে হবে। কী ভয়ংকর ও নিপুণ তাদের বিশ্বাসঘাতকতা। কয়েক দিন নৌকায় কাটিয়ে আবার ফিরে এলাম। অপেক্ষা করতে থাকলাম সীমান্তের অবস্থা শিথিল হওয়ার। কিন্তু তা আর হয়নি। সর্বাত্মক যুদ্ধ লেগে গেল। স্বাধীন হয়ে গেল আমার দেশ। আক্ষেপ রয়ে গেল আমার। আমার স্বজনেরা. আমাদের বীরেরা লড়াই করে. জীবন দিয়ে স্বাধীনতা দিয়ে গেল আমাদের। আমাকে দিয়ে গেল বাড়তি কিছু. স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম শ্রেণির নাগরিকত্বও।পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণের সপ্তাহ খানিক পর ঢাকা গেলাম। আমার বড়ভাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের রিফ্রেসমেন্ট রুমে ম্যানেজার হিসাবে তার আগের কাজে যোগ দিয়েছেন ১৮ তারিখ থেকেই।মহল্লায় যেসব বাঙালি ভাড়া থাকত. সবাই গিয়ে যার যার বাসায় উঠল। অবাঙালিরা পালিয়ে বিহারি ক্যাম্পে চলে গেছে। সম্পন্ন ব্যক্তিরা বা লুট করে নতুন ধনী হওয়া ব্যক্তিরা আগেই চলে গেছে পাকিস্তান। আমরা যে বাসায় ভাড়া থাকতাম. সেটি দখলে নেওয়ার ব্যাপারে বড় ভাই মহিউদ্দিন আহমদ আমার পরামর্শ চাইলেন। আমার মনে পড়ে. সেদিন বলেছিলাম. কোনো কিছু দখল করা ঠিক হবে না। বঙ্গবন্ধু বলেছেন. দেশে সমাজতন্ত্র কায়েম হবে। কারও অভাব থাকবে না। আমার ভাই আমার কথা মেনে নিয়ে বাসা ছেড়ে দিলেন। কয়েক দিন পর রেলওয়ে ক্যাটারিংয়ে জড়িতরা গঠন করলেন সমবায়। বড়ভাই একজন পরিচালক হিসেবে চলে গেলেন লাকসাম রেলওয়ে রিফ্রেশমেন্ট রুমে। আমি আমার স্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন পাল্টে ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা দিলাম নিজের এলাকা কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন হাই স্কুল থেকে। পাশ করে এই স্কুলেই জুনিয়র শিক্ষকের চাকরি নিলাম। কারণ. আমাদের আর্থিক অবস্থা তখন খারাপ। এর আগে অল্প কয়েক দিন শিক্ষকতা করেছি উলুকান্দি প্রাইমারি স্কুলে। দোকান দেখাশোনায়ও সাহায্য করতে থাকি বাবাকে।সশস্ত্র যুদ্ধে যেতে না পারার আক্ষেপ রয়েই গেল। সান্ত্বনা এই. চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। পরবর্তী জীবনে মুক্তিযুদ্ধের মহান স্বপ্ন-চেতনার পক্ষে যা কিছু ঘটেছে সে-সবের মিছিলে থাকার চেষ্টা করেছি. করে যাচ্ছিও। আমি মনে করি. আমাদের স্বাধীনার যুদ্ধ শেষ হলেও মুক্তির সংগ্রাম বিরামহীন চলছে। বাংলাদেশকে দুর্নীতি ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে এই সংগ্রাম চলবে।
1,573,338
2019-01-05
ধন্যবাদের দেশে
null
আদনান মুকিত
https://www.prothomalo.com/pachmisheli/article/1573337/%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87
pachmisheli
print
1
ছুটির দিনে
রূপবৈচিত্র্যে জাপানের একেকটা জায়গা একেক রকম। কিন্তু বিনয়. সহমর্মিতা. শৃঙ্খলা. ভদ্রতায় প্রত্যেক জাপানি যেন এক সুতোয় গাঁথা। রূপবৈচিত্র্যে জাপানের একেকটা জায়গা একেক রকম। কিন্তু বিনয়. সহমর্মিতা. শৃঙ্খলা. ভদ্রতায় প্রত্যেক জাপানি যেন এক সুতোয় গাঁথা। জাপানে বেড়াতে যাব—এটা জানার পর থেকেই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন মা। দেশের জামালপুর গেলেই চিন্তায় তাঁর ঘুম হয় না. আর এ তো জাপান! কী খাব. ঠান্ডায় টিকতে পারব কি না—এমন নানা বিষয় নিয়ে তাঁর চিন্তা! অবশ্য মাকে দোষও দেওয়া যায় না। শুরুতেই তাঁর চিন্তার একটা খোরাক জোগালাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার পথেই আবিষ্কার করলাম. ক্যামেরার চার্জার ঠিকই নিয়েছি. কিন্তু ক্যামেরাই নেওয়া হয়নি। আর জাপান ভ্রমণের তৃতীয় দিনই প্রমাণ পেলাম আমাকে নিয়ে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে! মুগ্ধতার শুরু জাপানে বাস থেকে নামার সময় টিকিট দেখাতে হয় চালককে। টিকিট দেখে সন্তুষ্ট হয়ে রোবটের মতো মাথা নিচু করে ধন্যবাদ দেবেন যাত্রীকে। যাত্রী নেমে গেলেই বন্ধ হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয় দরজা. সঙ্গে সঙ্গে আবার ছুটবে বাস। টিকিট দেখিয়ে নেমে গেলাম। বাস চলে যেতেই মনে পড়ল. এই বাসেই আমার সবকিছু। অর্থাৎ মানিব্যাগ। একবার মনে হলো. বাংলা সিনেমার নায়কের মতো বাসের পেছনে ছুটি। তবে মাথা গরম করলাম না (ডিসেম্বরে জাপানে তীব্র শীত. মাথা গরম করার সুযোগই নেই)। জাপানি বন্ধু শিমা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে বললাম. ‘মনে হয় মানিব্যাগ বাসে ফেলে এসেছি।’ একটা বিস্ময়সূচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সে বলল. ‘কী ছিল মানিব্যাগে?’ ‘সব ডলার। আইডি কার্ড।’ ছুটলাম বাসস্ট্যান্ডের দিকে। বাসের সময়সূচি লেখা বোর্ড থেকে কেন্দ্রীয় বাস অফিসে ফোন দিল শিমা। বাস অফিস কয়েকটা প্রশ্ন করল। কী রঙের মানিব্যাগ. কোন সিটে বসেছিলাম ইত্যাদি। তারপর বলল. ‘আমরা পেলে জানাব।’ পেলে জানাব—এই কথা সম্পর্কে ভালোই ধারণা আছে। তাই হাল ছেড়ে দিয়ে হোস্টেলে ফিরে এলাম। হোস্টেলের অভ্যর্থনাকারী শুনে চিন্তিত হয়ে পড়লেন। হওয়ারই কথা. মানিব্যাগ না পেলে বিলটা দেব কীভাবে? ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় ফোন এল। বাস অফিস থেকে একজন ফোনে জানালেন. ‘নিকটস্থ চকোকুনোমোরি স্টেশনে এসো। তোমার মানিব্যাগ নিয়ে বাস আসছে।’ দ্রুত স্টেশনে গেলাম। সত্যি সত্যি একটা যাত্রীশূন্য বাস এসে থামল। দরজা খুলে চালক আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন মানিব্যাগ এবং আমি কিছু বলার আগেই ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেলেন। বলা যায় তখন থেকেই জাপানের প্রতি মুগ্ধতার শুরু। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য. চাকচিক্যের চেয়েও জাপানিদের নম্র-ভদ্র ব্যবহার. শৃঙ্খলাই বেশি মুগ্ধ করেছে আমাকে। জাপানে কাটানো আট দিনে যতবার ধন্যবাদ বা ‘আরিগাতো গোজাইমাস’ শুনেছি. জীবনে অতগুলো কলাও বোধ হয় খাইনি! ১৪ হাজার মানুষের শহরে হাকোনে নামের একটা শহরে গিয়েছিলাম। রাজধানী টোকিও থেকে কিছুটা দূরের এই শহরে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের বসবাস। ফুজি পর্বত. শিন্তো ধর্মের মন্দির. আশি হ্রদ. গোরা পার্ক. জাপানের প্রথম উন্মুক্ত জাদুঘর. কাচের জাদুঘরসহ বিভিন্ন ধরনের জাদুঘর দেখতে প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন হাকোনেতে। আগ্নেয়গিরি থাকায় ঐতিহ্যবাহী হট স্প্রিংয়ের জন্যও বিখ্যাত এই শহরটা। জাপানিজ অ্যানিমেতে যেমন পাহাড়ঘেরা ছোট্ট. ছিমছাম শহর দেখা যায়. হাকোনে ঠিক তেমনই। হাকোনে নামটার অর্থ জানতে না পেরে নিজেই একটা অর্থ দাঁড় করিয়ে ফেললাম। ট্রেন থেকে নেমে বিস্ময়ে হাঁ করে এক কোণে দাঁড়িয়ে থাকা যায় বলেই বোধ হয় এর নাম হাকোনে। মনে হলো সিনেমার কোনো সেটে ঢুকে পড়েছি। একটু পরপর যাওয়া–আসা করছে ছোট ছোট রঙিন ট্রেন। যাত্রীরা উঠছে চকচকে কিন্তু পুরোনো আমলের গাড়িতে। এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে বহু পুরোনো টানা রিকশা। স্টেশন ঘিরেই ছোট্ট একটা বাজার। সারি সারি দোকানে খাবার. স্মারক সাজিয়ে রাখা। দোকানি হাসিমুখে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সবাইকে। পর্যটন শহর হলেও অসম্ভব রকমের নীরবতা হাকোনেতে। নীরবতার চিত্র আসলে পুরো জাপানেই। সবাই খুব মৃদু স্বরে কথা বলে। বাস-ট্রেনে তো ফোনে কথা বলাই নিষেধ। যত প্রয়োজনই হোক. বাস-ট্রেনে ফোনে কথা বলা যাবে না। কারণ. অন্য যাত্রীরা বিরক্ত হতে পারেন। একই চিত্র হাকোনেতেও। সন্ধ্যা ৬টার পর সব সুনসান। হাকোনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ফুজি পর্বত। কুয়াশা. বৃষ্টি আর মেঘের কারণে এক দিনও ভালোভাবে দেখতে পারিনি তার আসল রূপ। ফুজি দেখার জন্য নানা ব্যবস্থা করেছে শহর কর্তৃপক্ষ। দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি ৪০০ মিটার লম্বা ঝুলন্ত সেতু মিশিমা স্কাইওয়াক থেকে কিংবা আশি হ্রদে জাহাজে চেপে বা রোপওয়ে. কেব্​ল কারে চড়ে দেখা যায় ১২ হাজার ৩৮৯ মিটার উঁচু এই পর্বত। নানা মাধ্যমে ফুজির নাগাল পাওয়ার চেষ্টায় দেখা গেছে আশি হ্রদের বিভিন্ন রূপ। আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট হ্রদটার তীরেই রয়েছে প্রাচীন শিন্তো ধর্মের কয়েক শ বছরের পুরোনো মন্দির। আশি হ্রদের পাড়ে বসে যেমন উপভোগ করেছি শান্ত নীল জলধারা. তেমনি কেব্​ল কারে চড়ে কোমাগাতাকে পর্বতের চূড়ায় উঠে দেখেছি সূর্যাস্তের সময় কেমন বদলে যায় রোদ ঝলমলে লেকটা। আশি হ্রদের মতো গোরা পার্কও রোদ ঝলমলে। ১৯১৪ সালে নির্মিত পাহাড়ঘেরা এই পার্কে ঢুকতেই স্বাগত জানায় খোলা আকাশ আর স্বচ্ছ পানির ফোয়ারা। সবুজের সমারোহ. ফুলের বাগান ছাড়াও পার্কটিতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জাপানি টি–হাউস। বহু বছর আগে জঙ্গলের ভেতরের এই টি–হাউসে ঐতিহ্যবাহী চা উৎসব করত জাপানিরা। উৎসব আরও আছে একদিন গেলাম কামাকুরা নামের একটা শহরে। সাগরপারের এই শহরে বিশাল বুদ্ধমূর্তি। সেখান থেকে খুব কাছেই এনোশিমার বাতিঘর। সন্ধ্যায় চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর সুরে বর্ণিল হয়ে ওঠে সি ক্যান্ডেল নামের ৬০ মিটার উঁচু বাতিঘর এবং পার্ক। সার্ফিংয়ের জন্যও বেশ পরিচিত এনোশিমা। সকাল হলেই শত শত সার্ফার সার্ফবোর্ড নিয়ে হেঁটে বা সাইকেলে চেপে ছোটে সৈকতের দিকে। আর শিশুরা মা–বাবার হাত ধরে ভিড় করে এনোশিমা অ্যাকুরিয়ামে। বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণী আর ডলফিনের খেলা দেখে আনন্দে মাতে ছেলেমেয়েরা। জাপানিরা যেখানে এক সুতোয় গাঁথা জাপানের যোগাযোগব্যবস্থা অতুলনীয়। আট দিনে ঘুরেছি ছয়টি শহরের বিভিন্ন জায়গায়। জাদুঘরগুলোর কথা তো বলাই হলো না। এককথায় রূপ-বৈচিত্র্যে জাপানের একেকটা জায়গা একেক রকম। কিন্তু বিনয়. সহমর্মিতা. শৃঙ্খলা. ভদ্রতায় সব জাপানি যেন এক সুতোয় গাঁথা। এই শান্ত মানুষগুলোই জাপানের আসল সৌন্দর্য। আরিগাতো গোজাইমাস জাপান! তথ্য সত্য ● জাপানে ‘বিড়াল ক্যাফে’ রয়েছে. যেখানে গিয়ে আপনি কফি পান করতে পারেন. পারেন বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটাতে। জাপান ছাড়া এমন ক্যাফের দেখা মেলে কোরিয়ায়। ● ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাপানে মধ্যরাতে নাচানাচির ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা ছিল। ● জাপানে প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার ৫০০ বার ভূমিকম্প হয়। ● জাপানের মোট জনসংখ্যার অন্তত ৫০ হাজার মানুষের বয়স ১০০ বছরের ওপরে। ● ‘কঙ্গো গুমি অ্যান্ড কোম্পানি’ নামে বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো প্রতিষ্ঠানটি ছিল জাপানে। ২০০৬ সালে বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তন হয়েছিল ৫৭৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। ● জাপানে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ দ্বীপ রয়েছে। ● বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে জাপানের ট্রেন–ব্যবস্থা সবচেয়ে সময়নিষ্ঠ। এ দেশের ট্রেনগুলো গড়ে বিলম্ব করে ১৮ সেকেন্ড। ● জাপানে শিশুদের ডায়াপারের চেয়ে বুড়োদের ডায়াপারের বিক্রির পরিমাণ বেশি! ● জাপানে একটি ভবনের পাট ফুঁড়ে মহাসড়ক চলে গেছে। ভবনটি ‘গেট টাওয়ার বিল্ডিং’ নামে পরিচিত। ● অকুনোশিমা জাপানের ছোট্ট দ্বীপ। তবে এই দ্বীপটি ‘র​্যাবিট আইল্যান্ড’ নামেই পরিচিত! হাজার হাজার মুক্ত খরগোশ এখানে ঘুরে বেড়ায়। ● জাপানে অধিকাংশ সড়কের নাম নেই। ● শুধু জাপানের মানুষই পারে ২০ ভাবে ‘দুঃখিত’ বলতে। সূত্র: হাফিংটন পোস্ট. বিবিসি. ফ্যাক্ট স্লাইড
1,573,337
2019-01-05
দিনক্ষণ জানালেন নিকোল
null
বিনোদন ডেস্ক
null
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573335/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B2
entertainment
print
1
হলিউড
ব্যক্তিজীবনের কোনো সুখবর নয়। অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যান ৫২-তে এসেও কাজ নিয়ে মহাব্যস্ত। একের পর এক সিনেমায় আর টিভি সিরিজে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এবার তিনি ভক্তদের দিলেন তাঁর জনপ্রিয় সিরিজ ‘বিগ লিটল লাইস’-এর নতুন কিস্তির খবর। জানালেন নতুন কিস্তির প্রচার শুরুর সময়।গত সপ্তাহে সিএনএনের বছর শুরুর একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন হলিউড অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যান ও তাঁর স্বামী সংগীতশিল্পী কেইথ আরবান। সেখানে নিকোলকে প্রশ্ন করা হয়. ২০১৯-এ দর্শকের সামনে কী চমক নিয়ে আসছেন তিনি? জবাবে নিকোল তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত সিরিজ বিগ লিটল লাইস-এর খবর জানান। এর নতুন কিস্তি প্রচার শুরুর সময়টি জানিয়ে দেন ভক্তদের। নিকোল বলেন. ‘আমরা জুন মাসের অপেক্ষায় আছি। সবাই চাইছি জুনেই বিগ লিটল লাইস-এর প্রচার শুরু করতে। এ জন্য শেষ মুহূর্তের কাজ আমরা দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছি। এখনো কাজ চলছে।’এই টিভি সিরিজের জন্য গত বছর নিকোল কিডম্যান জিতেছেন এমি আর গোল্ডেন গ্লোবসহ অনেক সম্মানজনক পুরস্কার। এবার এই সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে সবার প্রত্যাশা আরও বেশি। কারণ. গত কিস্তির তারকাদের পাশাপাশি এবারের নতুন মৌসুমে যুক্ত হয়েছেন অস্কারজয়ী প্রখ্যাত অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপও। তাই মেরিল ও নিকোলের অভিনয় মাধুর্য এক ফ্রেমে দেখার জন্য হলিউডপ্রেমীরা রীতিমতো মুখিয়ে আছেন। জুন মাসে বিগ লিটল লাইস-এর প্রচার শুরুর আভাস সেই উৎসাহী দর্শকদের ব্যাকুলতা এবার আরেকটু বেড়ে গেল। ফক্স নিউজ
1,573,335
2019-01-05
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও তুঘলকি কাণ্ড
কর্মসংস্থান
তুহিন ওয়াদুদ
১৮
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573331/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%98%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1
opinion
print
1
শিক্ষা
নন-গভর্নমেন্ট টিচার্স রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড সার্টিফিকেশন অথরিটি. সংক্ষেপে এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) নামক প্রতিষ্ঠানে চলছে তুঘলকি কাণ্ড। প্রতিষ্ঠানটির অদক্ষতা আর স্বেচ্ছাচারিতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেশের লাখ লাখ চাকরিপ্রত্যাশী মানুষ। এনটিআরসিএ মূলত বেসরকারি স্কুল. কলেজ. মাদ্রাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষার আয়োজন করে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত একটি বিশেষ পরীক্ষাসহ মোট ১৫টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা হয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এনটিআরসিএ দেড় শতাধিক মামলায় পড়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সবগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের একটি সম্মিলিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণদের যাঁদের বয়স ৩৫-এর মধ্যে আছে. তাঁরাই শুধু আবেদন করতে পারছেন। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব পরীক্ষা অভিন্ন পদ্ধতিতে এবং অভিন্ন নীতিমালায় অনুষ্ঠিত হয়নি। কখনো সারা দেশে শূন্য পদ সাপেক্ষে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল. কখনো বলা হয়েছিল উপজেলাভিত্তিক পদ শূন্য সাপেক্ষে। ফলে কখনো কম নম্বর পেয়েও কেউ উত্তীর্ণ হয়েছিলেন. কখনো অনেক নম্বর পেয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেননি।পরীক্ষা পদ্ধতিতেও ছিল ভিন্নতা। ১৫টি নিবন্ধন পরীক্ষায় কখনো শুধু লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। কখনো প্রাথমিক বাছাই. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা—তিনটিই হয়েছে। কোনো নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করানো হয়েছে অনেক. কখনো সামান্যই। কোনো বছর পাসের হার ছিল ৫২ শতাংশ. কোনো বছর ২ শতাংশের কম। এনটিআরসিএর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে চাকরিপ্রার্থীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এনটিআরসিএ এমপিও. নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন আবেদন গ্রহণ করছে। বিনা বেতনে চাকরি এবং বেতনে চাকরি—এ দুটি কখনোই এক হতে পারে না। যতটি পদ শূন্য আছে. ততটি পদের জন্য আলাদা আবেদন করার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তীর্ণ প্রার্থী যতটি পদের জন্য আবেদন করবেন. ততটি পদের জন্য প্রার্থীকে বিবেচনা করা হবে। একেকটি পদের বিপরীতে আবেদনকৃত ব্যক্তিদের মেধাক্রম বিচার করে নিয়োগের সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ। উত্তীর্ণ প্রার্থীরা যতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দক্রমে উল্লেখ করবেন. তাঁকে প্রতিটির জন্য ১৮০ টাকা ফি দিতে হবে। যদি তিনি কোনো দোকান থেকে কাজটি করতে চান. তাহলে প্রতিটি আবেদনের জন্য আরও ৩০-৪০ টাকা দিতে হচ্ছে। অথচ নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থী একবার ৩৫০ টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে আবেদন করেছিলেন। এরপর তাঁদের প্রাথমিক বাছাই. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাঁরা এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন. তাঁদের কাছ থেকে পছন্দক্রম চাওয়া হয়েছে। এই পছন্দক্রম অনুযায়ী কাজ করার জন্য এ প্রতিষ্ঠানের এক টাকাও অতিরিক্ত প্রয়োজন নেই। তারপরও এই টাকা ফি ধার্য করাটা বেকারদের ওপর জুলুম। দেশের সব চাকরিতে বেকারদের বিনা টাকায় আবেদন করার সুযোগটাই এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতি মাসে একজন বেকারের চাকরির আবেদনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকার ব্যাংক ড্রাফট করতে হয়। এই টাকা একজন বেকারের প‌ক্ষে সংগ্রহ করা অত্যন্ত কঠিন। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া একজন বেকারকে রীতিমতো লটারির টিকিট কিনে ভাগ্য যাচাইয়ের মতো অবস্থায় ফেলা হয়েছে। একজন চাকরিপ্রার্থী পছন্দক্রমে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে প্রয়োজন হবে ১০ হাজার ৫০০ টাকা। আমাদের দেশে একজন বেকার চাকরিপ্রার্থীর পক্ষে কি এত টাকা দিয়ে চাকরির আবেদন করা সম্ভব? নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কাছ থেকে টাকা কিংবা পছন্দক্রম কোনোটি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। প্রথমে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ফল মেধাক্রম অনুযায়ী প্রকাশ করতে পারত এনটিআরসিএ। এতে যে পদগুলো শূন্য থাকত. সেই অবশিষ্ট পদে নিয়োগের জন্য আবারও নতুন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করত। এভাবে যখন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ শেষ হতো. তখন একইভাবে নন-এমপিও পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেত। পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক আবেদনে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাডারে. নন-ক্যাডারে. এমনকি মাধ্যমিক-প্রাথমিক স্কুলেও নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। পিএসসি যদি এক আবেদনে হাজার হাজার পদ উন্মুক্ত রাখতে পারে প্রতিযোগিতার জন্য. তাহলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা আবেদন করতে বলা প্রহসনই বটে। ধরা যাক. ইংরেজি বিভাগের একজন প্রার্থী দেশের যেকোনো এলাকায় চাকরি করতে চান। ইংরেজি বিভাগে পদ শূন্য আছে ৫০০টি। তাঁর মেধাক্রম ৫০০তম। তিনি কি তাহলে ৫০০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করবেন? এটা কি হয় কখনো? এনটিআরসিএ গত ডিসেম্বর মাসে ৩৯ হাজার ৫৩৫টি পদে কলেজ-স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধনধারীদের কাছ থেকে পছন্দক্রম ঠিক করে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবেদন জমা পড়ে প্রায় ৩১ লাখ। প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রায় ৭৮টি। সেই হিসাব করলে এনটিআরসিএ প্রায় ৫৬ কোটি টাকা আয় করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখে এসব সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এনটিআরসিএ কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কিংবা লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। এটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সেই সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যে অন্যায় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে. তা বন্ধ হওয়া জরুরি। তুহিন ওয়াদুদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক এবং রিভারাইন পিপলের পরিচালক [email protected]
1,573,331
2019-01-05
যত ‘ট্রিপ’ তত টাকা
null
সামছুর রহমান. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573326/%E0%A6%AF%E0%A6%A4-%E2%80%98%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E2%80%99-%E0%A6%A4%E0%A6%A4-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
bangladesh
print
1
গণপরিবহনে নৈরাজ্য|সড়ক দুর্ঘটনা
সড়কে বিশৃঙ্খলা প্রায় পাঁচ মাস আগে চালকদের সঙ্গে চুক্তিতে বা ট্রিপে বাস চালানো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় এটি কার্যকর হয়নি নিরাপদ সড়কের দাবিতে গত বছরের আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পরিবহন মালিক সমিতি রাজধানীতে চুক্তিতে বাস চালানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু নিজেদের নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রায় মাসেও কার্যকর করতে পারেননি পরিবহনমালিকেরা। রাজধানীর অধিকাংশ বাস এখনো চলছে চুক্তি ভিত্তিতে। চুক্তিতে বাস চালানো বন্ধ করে চালক ও চালকের সহকারীদের মাসিক বা দৈনিক বেতন এবং নিয়োগপত্র দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল মালিক সমিতি। কিন্তু আগের মতোই চুক্তিতে বা ট্রিপ (যাত্রার শুরু থেকে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত) বাস চালাচ্ছেন মালিকেরা। ট্রিপ অনুযায়ী চালকেরা মালিকের কাছ থেকে টাকা পান। বেশি ট্রিপ দিতে পারলে টাকা বেশি। ফলে যাত্রী এবং ট্রিপের জন্য চালকেরা রাস্তায় বেপরোয়া থাকেন। একই রুটের (পথ) অন্য পরিবহনের সঙ্গেও এ কারণেই রেষারেষি করেন চালকেরা। এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন প্রথম আলোকে বলেন. মালিক সমিতির নেতাদের সিদ্ধান্ত সমিতির সদস্যরাই মানছেন না। চালক ও সহকারীর বেতন নির্ধারণের পাশাপাশি মালিকের জমাও নিশ্চিত করতে হবে। মালিক সমিতি. বাস মালিক. সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার লোকজন বসে বেতন বা মজুরি নির্ধারণ করতে পারেন। চুক্তিতে বাস চালানো বন্ধ করতে না পারার জন্য পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা দাবি করছেন. চালক ও সহকারীরা একই মালিকের বাস প্রতিদিন চালান না। ফলে চালক ও সহকারীর নিয়মিত বা মাসিক বেতন নির্ধারণ প্রায় অসম্ভব। বেতন নির্ধারণের পাশাপাশি চালকদের নিয়োগপত্র দেওয়া. ভাড়ার টাকা মালিক সঠিকভাবে যাতে পায়. সে জন্য টিকিট কাউন্টার স্থাপন করাসহ আরও বেশ কিছু কাজ করতে হবে। আবদুল্লাহপুর থেকে বছিলা রুটে (পথে) চলাচল করা প্রজাপতি পরিবহনের চালক খালেক মিয়া বলেন. ‘আগে বাস চালাতাম জমা হিসাবে। দিনের শেষে মালিককে জমার টাকা বুঝিয়ে দিতে হতো। জমার টাকা. গ্যাস. লাইন খরচ তোলার পরে নিজের আর হেলপারের (সহকারী) আয় তোলা লাগত। এখন ট্রিপ হিসাবে টাকা দেয়। কিন্তু ট্রিপ কম হলে আয় কম।’ গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। সেদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৮ আগস্ট পরিবহন মালিক সমিতি ঘোষণা দেয়. ৯ আগস্ট থেকে চুক্তিতে গাড়ি চালানো হবে না। কোনো মালিক চালকের সঙ্গে চুক্তিতে গাড়ি চালালে ওই কোম্পানির সমিতির সদস্যপদ বাতিল করা হবে। চালক নিয়োগ দিয়ে গাড়ি রাস্তায় নামাতে হবে। নবীনগর থেকে মিরপুর ১৪ নম্বর রুটের ইতিহাস পরিবহন. ধামরাই থেকে গুলিস্তানগামী সাভার পরিবহন. কদমতলী থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রুটের দিশারী পরিবহন. গাবতলী থেকে মতিঝিল রুটের গাবতলী লিংক পরিবহনের অন্তত ১০টি বাসের চালক ও সহকারীর সঙ্গে গতকাল শুক্রবার কথা বলে প্রথম আলো। তাঁরা জানান. মালিক সমিতির নির্দেশেই তাঁরা ট্রিপে গাড়ি চালাচ্ছেন। তাঁদের কারও বেতন নির্ধারিত না। যত ট্রিপ তত টাকা এই চুক্তিতে তাঁরা বাস চালাচ্ছেন। জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন. কোনো চালক পুরো মাস একই মালিকের বাস চালান না। তাই মাসিক বেতন নির্ধারণ কঠিন। তাই ট্রিপ ভিত্তিতে দৈনিক একটি মজুরি নির্ধারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে বেপরোয়া চালানো অনেকটাই কমছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে মালিকদের ধারণার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন অনেক বাসচালক। তাঁরা মনে করেন. চালকদের দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করলে বেপরোয়া বাস চালানো বন্ধ হবে। গাবতলী লিংক পরিবহনের চালক মো. ওহিদুল বলেন. ‘চালকেরা একই মালিকের বাস নিয়মিত চালায় না এটা ঠিক। মাসিক বেতন নির্ধারণ না করতে পারলে দৈনিক মজুরি ঠিক করুক। এক দিন কাজ করলে চালক ওই দিনের টাকা পাবে অন্তত এই নিশ্চয়তা থাকবে। তাহলে আর রাস্তায় পাড়াপাড়ি করবে না কোনো চালক।’
1,573,326
2019-01-05
এই ঔদাসীন্য অমানবিক
শীত
সারফুদ্দিন আহমেদ
null
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573323/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%94%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95
opinion
print
1
বিতর্ক
আরও একটি পৌষ সংক্রান্তিমুখী। মাঘ সমাগত। শীত এখন ভরা যৌবনে। শীতের মধ্যে গরম পোশাক পরে পিঠাপুলির গুণকীর্তন করা সোজা। গরম লেপের তলে শুয়ে পি বি শেলির ‘ইফ উইন্টার কামস. ক্যান স্প্রিং বি ফার বিহাইন্ড’ থেকে শুরু করে সুকান্তের ‘হে সূর্য. শীতের সূর্য!’—এই রকমের কাব্য পড়তেও ভালো লাগে। কিন্তু শহর–গ্রামের আনাচকানাচে ও শহরের ফুটপাতের ওপর যেসব ছায়া-শরীর প্রতিটি নির্জন শীতরাতে কেবল পরস্পরের উত্তাপ নিয়ে জড়াজড়ি করে নিশিযাপন করে. তাদের কাছে শীত কাব্য হয়ে আসে না। আসে যম হয়ে। তাদের একাংশ ঠান্ডায় মারা যায়। তাদের কোনো সঠিক শুমারি হয় না। অনুমান ও অনেকটা আন্দাজের ওপর নির্ভর করেই এই হতভাগ্যদের সংখ্যা ধার্য করা হয়। দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এখন যে শীত অনুভূত হচ্ছে. তা নিয়ে কাব্য করা চলে না। সেখানকার শীত আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সেখানে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে নেমে আসছে হাড়কাঁপানো শীত। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত শীত অনুভূত হচ্ছে। জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না অনেকে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে তারা। হাটবাজারে ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড় কম। ক্রেতার অভাবে দোকানদার ও যাত্রীর অভাবে পরিবহনকর্মীরা রাস্তার পাশে আগুন জ্বেলে শীত তাড়াচ্ছেন। স্কুল–কলেজ ও সরকারি অফিসে উপস্থিতি কম। রোদ উঠলেও তার তেজ অত্যন্ত ম্লান। সন্ধ্যা হতেই সুনসান হচ্ছে শহর। আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন. কুয়াশা থাকলে শীত কম থাকে। এবার কুয়াশা না থাকার কারণেই ঘনীভূত হয়েছে শীতের প্রকোপ। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়ে। শীতের কারণে পঞ্চগড় এবং এর আশপাশের জেলায় শিশু ও বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া. শ্বাসকষ্ট. সর্দি-কাশিসহ হৃদ্‌রোগের প্রকোপ সেখানে বেড়ে গেছে। প্রতিদিন হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ ভর্তি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। উত্তরবঙ্গের মানুষের একটি বিরাট অংশ তীব্র দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। গরম কাপড় কেনা বা জোগাড় করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। যেখানে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা. সেখানে এসব মানুষ কত দিন এভাবে টিকে থাকতে পারবে. সেটি একটি বিরাট প্রশ্ন। পঞ্চগড় পৌরসভার হিসাব অনুযায়ী. পৌর এলাকায় ২০ হাজারের বেশি অসহায় ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষ বসবাস করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বলছে. জেলার প্রায় দুই লাখ দুস্থ মানুষ আছে। তাদের শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে. তা খুবই অপ্রতুল। স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে. এই শীতের রাতে দুই–তিনটা লেপ না হলে শীত মানতে চায় না। সেখানে ত্রাণের পাতলা কম্বল এই তীব্র শীত ঠেকাবে কী করে? শীতকবলিত এই জনপদে কতজন মানুষের শীত মোকাবিলা করার মতো পোশাক ও বাসস্থান আছে. সে সমীক্ষা আমাদের সামনে নেই। তথাপি সংবাদমাধ্যমের অসম্পূর্ণ ‘সমীক্ষায়’ যা প্রকাশ পাচ্ছে. তাতে শীতকবলিত হতদরিদ্র মানুষের প্রতি সরকারের. প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অমানবিক ঔদাসীন্যের ছবি ভালোভাবেই প্রকাশ পাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে. শীতের কামড় থেকে এই ভাগ্যাহত মানুষগুলোকে রক্ষা করার জন্য নৈশ আশ্রয়ের ব্যবস্থা থাকা উচিত। কারণ. বহু মানুষ এমন ঘরবাড়িতে বসবাস করে. যা এই শীতের ছোবল থেকে তাদের রক্ষা করতে পারবে না। স্থানাভাব বা তহবিলের সীমাবদ্ধতা এই মানুষগুলোকে রক্ষা করতে না পারার কারণ হতে পারে না। এর একমাত্র কারণ হতে পারে নিছকই সদিচ্ছার অভাব এবং ইচ্ছাকৃত ঔদাসীন্য। বহু মানুষ আছে. যাদের কোনো ঘরবাড়িই নেই। বিশেষ করে শহরের উড়ালসাঁকোর নিচে. বিভিন্ন অলিগলিতে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে বহু গৃহহীন মানুষ শুয়ে থাকে। কী লাগে কয়েকটি শীতকালীন নৈশ আশ্রয় তৈরি করতে? মাথার ওপর টিন কিংবা টালির আচ্ছাদন. চারটি দেয়াল আর দু-একটি কপাট দেওয়া জানালা। হাজার হাজার কোটি টাকার তহবিল নিয়ে রাষ্ট্র এমন কয়েকটি অকিঞ্চিৎকর মূল্যের নৈশ আশ্রয় বানাতে পারে না? যে অর্থে রাষ্ট্র প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুবিধায় আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করে. শহরের সব পার্ক-উদ্যানকে নানা রঙে রঞ্জিত করতে তৎপর থাকে. তার চেয়ে অনেক কম ব্যয়ে হতভাগ্য নিরাশ্রয়দের শীতের রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়া যায়। তাতে শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজে কোনো ব্যাঘাত হওয়ারও কথা না। শুধু পঞ্চগড় বা উত্তরবঙ্গ নয়. খোদ রাজধানীতেও বহু মানুষ শীতে কাঁপতে থাকে। রাষ্ট্রের অমানবিক ঔদাসীন্যের কারণে খোলা আকাশকে চাঁদোয়া বানিয়ে শহুরে গরিব. ভবঘুরে. ভিখারি ও নিরাশ্রয় মানুষ পৌষের অকালবর্ষণ মাথায় করে রাত যাপন করছে। পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানীর আশ্রয়হীনেরা অসংগঠিত। তারা ইউনিয়নবদ্ধ নয়। তাই তাদের আশ্রয়ের অধিকার নিয়ে কোনো দাবিমুখর হতে দেখা যায় না। ধনীরা তাদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে তাদের শীতের কাপড় অথবা নৈশ আশ্রয়স্থল বানিয়ে দিতে চায়। এই দয়া করার দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের তাদের অধিকার সম্পর্কে উদাসীন করে তোলে। আশ্রয়হীনের জন্য নিদেনপক্ষে শীতকালীন অস্থায়ী নৈশ আশ্রয়স্থলের কথাটি কখনো আমাদের মনে উদয় হয় না। সবার কাছেই এখন স্পষ্ট হয়েছে. আমাদের ঋতুচক্রের গতি–প্রকৃতি আর আগের মতো নেই। আবহাওয়া ক্রমেই চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। গরমকালে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। শীতকালে তা নামছে অস্বাভাবিকভাবে। এই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে গেলে জনগণের জীবনযাপন ও আবাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা দরকার। উত্তরাঞ্চলে শীত তীব্রভাবে জেঁকে বসে সেটা আমরা জানি। কিন্তু সেই তীব্রতা ফিবছরই বেড়ে চলেছে। সেই তুলনায় সেখানকার মানুষের শীত মোকাবিলা করার মতো আবাসন নির্মাণ ও গরম কাপড় কেনার সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকারকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। সারফুদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোর জে্যষ্ঠ সহসম্পাদক [email protected]
1,573,323
2019-01-05
চুক্তি স্বাক্ষর করে শুটিং শুরু
null
বিনোদন প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573318/%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81
entertainment
print
1
টেলিভিশন
অবশেষে চুক্তি স্বাক্ষর করে শুরু হলো নতুন বছরের টেলিভিশন নাটকের শুটিং। নাট্যকার. পরিচালক. অভিনয়শিল্পীসহ সংশ্লিষ্টরা মিলে নেওয়া এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। বেশ কয়েক দিন আগে টেলিভিশন নাটকের সঙ্গে জড়িত ছয়টি সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড. টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ. অভিনয়শিল্পী সংঘ. টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ. ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন ও টেলিভিশন মিডিয়া মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলে যৌথভাবে জানিয়েছিল. ১ জানুয়ারি থেকে সব শুটিং হবে চুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে ১ জানুয়ারি ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশনের মিলনমেলা থাকায় সেদিন কোনো শুটিং হয়নি। তাই ২ জানুয়ারি শুরু হওয়া শুটিংয়ে হাজির হয়েছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ড. অভিনয়শিল্পী সংঘ. টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের নেতারা। তাঁরা উত্তরার বেশ কয়েকটি শুটিং বাড়ি ঘুরে পরিচালক. অভিনয়শিল্পী. মেকআপ আর্টিস্টসহ সংশ্লিষ্টদের চুক্তি স্বাক্ষর করান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু. সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক. সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন হোসেন। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম. সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান জর্জ. টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সাধারণ সম্পাদক এজাজ মুন্না এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আজম খান। চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন. ‘আমরা উত্তরার বেশ কয়েকটি শুটিং বাড়ি ঘুরেছি। বিভিন্ন শুটিং বাড়িতে পরিচালকদের সঙ্গে অভিনয়শিল্পীদের চুক্তি স্বাক্ষর করিয়েছি। এই চুক্তি স্বাক্ষর করে শুটিং যেন নিয়মিত করা হয়. সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা চেয়েছি। যে রকম সাড়া পেলাম. আশা করছি এটা নিয়মিত হবে।’ তিনি জানান. চুক্তি স্বাক্ষর করে শুটিং শুরুর প্রথম দিনে বিভিন্ন শুটিং বাড়িতে ছিলেন অভিনয়শিল্পী আমিরুল হক চৌধুরী. রহমত আলী. মৌসুমি হামিদ. জামিল. আ খ ম হাসান. ইন্তেখাব দিনার. নাদিয়া. অপূর্ব. আবুল হায়াত. তাহসান. মাজনুন মিজানসহ অনেকেই। পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন শিহাব শাহীন. মিজানুর রহমান আরিয়ান. ফরিদুল হাসান. ভিকি জাহেদ প্রমুখ।
1,573,318
2019-01-05
সুশাসন নিশ্চিত করলেই দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব
এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকার
মন্তব্য
https://www.prothomalo.com/economy/article/1573317/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%AC
economy
print
1
বিশ্লেষণ
টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করছে। সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ও প্লামি ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শুভংকর কর্মকার। টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করছে। সরকারের কাছে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ও প্লামি ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শুভংকর কর্মকার। প্রথম আলো: নতুন বছর. নতুন সরকার। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করছে। আপনি তো সরকারের দুই মেয়াদ দেখছেন। তৃতীয় মেয়াদে অর্থনীতির কোন কোন বিষয়ের ওপর সরকারের বেশি জোর দেওয়া দরকার বলে মনে করেন? ফজলুল হক: আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দুই মেয়াদে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হয়েছে। পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে। তবে অর্থনীতির কয়েকটি খাতে ঘাটতি রয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় ঘাটতি ছিল সুশাসন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা. যদিও এর কোনো শেষ নেই। তারপরও এটি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা দরকার। গত এক–দেড় বছরে দেশের ব্যাংকিং খাত এলোমেলো হয়ে গেছে। অর্থনীতির স্বার্থেই এই খাত ঠিকঠাক করা দরকার। কারণ. ব্যাংকিং খাত হচ্ছে অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এখানে গন্ডগোল হলে কোনো কিছুই সঠিকভাবে কাজ করে না। অন্যদিকে শেয়ারবাজার এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। চীনের দুটি শেয়ারবাজারের একটি জোট বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের অংশীদার হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটিকে চমৎকার পদক্ষেপ মনে করি। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য. চীনের জোট আসার পরও আমাদের শেয়ারবাজারের মন্দাভাব কাটেনি। মন্দার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না জানি না. তবে আমাদের অর্থনীতির বর্তমান চেহারার সঙ্গে শেয়ারবাজারের চেহারা ঠিক মিলছে না। তাই সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য হলেও শেয়ারবাজারের চেহারাটা ঠিক করা জরুরি। অন্যদিকে অবকাঠামো খাতে সরকার অনেকগুলো মেগা (বড়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তার বাইরে কিছু কাজ জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার। যেমন বিদ্যুতের সরবরাহ আরেকটু নিশ্চিত করা. যাতে নতুন সংযোগ দেওয়া যায়। গ্যাসের সংকট সমাধানে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আনা হচ্ছে। তবে অস্বাভাবিক দাম বাড়িয়ে যদি এই সংকটের সমাধান করা হয়. তাহলে শিল্পকারখানা চাপে পড়বে। তাই দাম না বাড়িয়ে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়. সেই পথ খুঁজতে হবে। এটি নিশ্চিত করা সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে নতুন সরকার নতুন উদ্যমে কাজগুলো করবে বলে ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করবেন। প্রথম আলো: দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ তৈরি পোশাক খাত থেকে আসছে। খাতটির ব্যবসায়ী নেতারা প্রায়ই বলেন. অন্য প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে বাংলাদেশ। খাতটির জন্য নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী? ফজলুল হক: পোশাকশিল্পের জন্য সরকার যেটি করতে পারে তা হলো. আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে পোশাক খাতের সংযোগ ঘটানো। বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থা আরও বেশি পোশাক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারে। পাশাপাশি নতুন ব্যবস্থাটি জনপ্রিয় করতে হবে। জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে. বিবিএ-এমবিএ না করেও ভালো চাকরি পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রচুর বিদেশি লোক কাজ করেন আমাদের পোশাকশিল্পে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যায়। কিন্তু দেশের তরুণ-তরুণীদের দক্ষ করে বিদেশিদের জায়গায় বসানো গেলে প্রকৃত অর্থেই পোশাকশিল্পের সক্ষমতা অনেক বাড়বে। এতে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হবে। ফলে আগামী পাঁচ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জিএসপি–সুবিধা হয়তো আমরা পাব না। তাই জিএসপি প্লাস কিংবা অন্য আঙ্গিকে রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত–সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে এখন থেকেই সরকারকে চেষ্টা করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াটা এখনই শুরু করা দরকার। তাই প্রত্যাশা থাকবে. নতুন সরকার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে কাজ করবে। প্রথম আলো: ২০২১ সালের মধ্যে পণ্য রপ্তানি ছয় হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে পোশাক রপ্তানি থাকবে পাঁচ হাজার কোটি ডলার। সেই পরিমাণ রপ্তানি সামলানোর জন্য সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকারকে কী করতে হবে? ফজলুল হক: বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার ইতিমধ্যে কয়েকটি বড় প্রকল্প নিয়েছে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর এবং পটুয়াখালীতে পায়রা বন্দর হচ্ছে। তবে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাঁচ বা সাত বা দশ বছর লাগবে। পাশাপাশি আরও কিছু কাজ করা দরকার। যেমন আমাদের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামেই অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণ করেই বন্দরের সক্ষমতা অনেকটা বাড়ানো সম্ভব। এ জন্য খুব বেশি টাকাও লাগে না। শক্ত পদক্ষেপ নিলে এক বছরের মধ্যেই কাজগুলো শেষ করা সম্ভব। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টমের ওয়্যারহাউস খুবই অগোছালো অবস্থায় আছে। এর উন্নতি করা খুব কঠিন কাজ নয়। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করলে এসব ছোট জায়গায় উন্নতি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আলো: নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতির কথা বলেছে। বিষয়টি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী? দুর্নীতি বন্ধ করতে পারবে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ? ফজলুল হক: নতুন সরকার ক্ষমতায় আসছে। ফলে এখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার মতো অজনপ্রিয় বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার সঠিক সময়। কারণ. তিন-চার বছর চলে গেলে সরকারকে আবার ভোটের হিসাব করতে হয়। তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমি মনে করি. সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব। তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে। সহজ কথা হচ্ছে. চোর ধরার চেয়ে চোর যাতে তৈরি না হতে পারে. সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এখানেই বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। আমি প্রত্যাশা করি. সুশাসন নিশ্চিত করার বিষয়টি নতুন সরকার এক নম্বর অগ্রাধিকার তালিকায় রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন অনেকবার। তাই সরকারের নতুন মেয়াদে সেটির বাস্তবায়ন হবে বলেই আমার বিশ্বাস। প্রথম আলো: রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য অনেক বছর ধরেই কাজ হচ্ছে। তবে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। গলদ কোথায়? নতুন সরকার কী করতে পারে? ফজলুল হক: রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য সরকার বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। প্রণোদনা দিয়েছে। সেগুলো খারাপ ছিল না। তাই সরকারকে দোষারোপ করা যাবে না। আমার মনে হয়. মূল ঘাটতি উদ্যোক্তাদের তরফ থেকেই ছিল। যাহোক. পণ্য রপ্তানি আয় বাড়ানো ও রপ্তানি খাতে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছানোর জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ দরকার। সরকার বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি একটি গবেষণা করা যেতে পারে। তারপর সে অনুযায়ী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রথম আলো: সহজে ব্যবসা করার সূচকে বাংলাদেশ এখনো তলানিতে আছে। গত বছর মাত্র এক ধাপ উন্নতি হয়েছে। সহজে ব্যবসা করার সূচকে বড় ধরনের উন্নতির জন্য নতুন কী করতে পারে? আপনার পরামর্শ কী? ফজলুল হক: ব্যবসা সহজ না হলে আমাদের মতো দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। সহজে ব্যবসা করার সূচকে বাংলাদেশ যখন তলানিতে থাকে. তখন বিদেশি উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়। এক ধাপ উন্নয়ন আসলে উন্নতি নয়। এই জায়গায় উন্নতি করতে হলে সুশাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করতে হবে। যেমন গ্যাসের সরবরাহ যদি পর্যাপ্ত থাকে. তাহলে গ্যাস–সংযোগ পাওয়া সহজ হবে। একইভাবে বিদ্যুতের সরবরাহ যদি পর্যাপ্ত থাকে. তাহলে বিদ্যুতের সংযোগ মিলবে। তখন এসব খাতে দুর্নীতি কমে যাবে। একটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। একসময় টিঅ্যান্ডটির লাইন নেওয়ার জন্য জুতার তলা ক্ষয় করে ফেলতে হয়েছে। এখন চাইলেই আপনি খুব সহজে টেলিফোন নিতে পারেন। টিঅ্যান্ডটি লাইন নিয়ে এখন আর দুর্নীতি নেই। প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ ফজলুল হক: আপনাকেও ধন্যবাদ।
1,573,317
2019-01-05
তিশা নয়. বুবলী
null
বিনোদন প্রতিবেদক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573315/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80
entertainment
print
1
চলচ্চিত্র
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল কাজী হায়াতের ‘বীর’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা থাকবেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে তিশার সঙ্গে কথাও হয়েছিল। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে তিশা নয়. এই ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন বুবলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবির দুজন প্রযোজকের একজন এমডি ইকবাল। তিনি বলেন. ‘আমরা তিশাকেই এই ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে নিতে চেয়েছিলাম। গত মঙ্গলবার চূড়ান্ত মিটিং করেছি কিন্তু তিশার সঙ্গে সময় না মেলায় তাঁকে নিয়ে কাজটি করছি না। এখন বুবলীকে চূড়ান্ত করেছি। তিনি শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে বীর ছবিতে অভিনয় করবেন।’ ছবির নায়ক শাকিব খান নিজেও এই ছবির আরেকজন প্রযোজক। তিনিও জানিয়েছেন. বুবলীই বীর ছবির নায়িকা। বিষয়টি নিয়ে তানজিন তিশার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন. ‘এর আগে বিষয়টি নিয়ে ফোনে একাধিকবার আলাপ–আলোচনা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার প্রযোজকসহ আমরা বসেছিলাম কিন্তু সামনে আমার ভালোবাসা দিবসের একাধিক নাটকের শুটিং ও অস্ট্রেলিয়াতেও শুটিং করতে যাওয়ার কথা আছে। সবকিছু মিলিয়ে কাজটি করা হচ্ছে না।’ ১২ জানুয়ারি থেকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ‘বীর’ ছবির শুটিং শুরু হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি টানা চলবে এই শুটিং। প্রযোজক জানান. আগামী পয়লা বৈশাখে ‘বীর’ ছবিটি মুক্তির কথা আছে।
1,573,315
2019-01-05
সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বললেন চীনা প্রেসিডেন্ট
null
অনলাইন ডেস্ক
১০
https://www.prothomalo.com/international/article/1573312/%E0%A6%B8%E0%A6%B6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%BE
international
print
1
এশিয়া|সশস্ত্র বাহিনী|চীন
চীনের সশস্ত্র বাহিনীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা অবশ্যই শক্তিশালী করতে হবে এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে সবকিছু করতে হবে। গতকাল শুক্রবার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ কথা বলেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. দক্ষিণ চীন সাগরে আঞ্চলিক বিরোধ সত্ত্বেও চীন সেনা উপস্থিতি জোরদার করতে ইচ্ছুক। এ ছাড়া তাইওয়ান ও বাণিজ্যের মতো বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ বাড়ছে। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে জানানো হয়. শীর্ষ সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন. চীনের জন্য ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। তাই সশস্ত্র বাহিনীকে চীনের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের প্রয়োজনে কাজ করে যেতে হবে। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সি চিন পিং। তিনি বলেছেন. সশস্ত্র বাহিনীকে নতুন যুগের জন্য কৌশল পরিকল্পনা করতে হবে এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি ও যুদ্ধ চালানোর জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন. গত ১০০ বছরে বিশ্ব যে পরিবর্তন দেখেনি. সে ধরনের বড় পরিবর্তনের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বিশ্ব। চীন তার উন্নতির জন্য কৌশলগত সুযোগের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে দ্রুত সাড়া দিতে হবে। তাদের যৌথ অপারেশন সক্ষমতা হালনাগাদ করতে হবে এবং নতুন ধরনের যুদ্ধসেনা প্রতিপালন করতে হবে। গত বুধবার চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন. তাইওয়ান অবশ্যই চীনের অংশ হিসেবে থাকবে। স্বাধীনতা উসকে দেওয়া কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর ওই কথার পর এবার সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এশিয়া রিঅ্যাসুরেন্স ইনিশিয়েটিভ অ্যাক্ট ইন্টু ল’তে স্বাক্ষর করে তাইওয়ানের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা বললেন।
1,573,312
2019-01-05
অনিয়মের অভিযোগ কম নয়
নির্বাচন
কামাল আহমেদ
৫৫
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1573311/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A7%9F
opinion
print
1
রাজনীতি
‘এমন নির্বাচন কখনো দেখেনি কেউ’ শিরোনামে ভোটের এক দিন আগে আমি লিখেছিলাম. দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য. সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অসম্ভব প্রমাণিত হলে বিরোধীরা লাভবান হবে. তাদের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণিত হবে। ভোটের ফল ঘোষণার পর তারা সে কথাই বলেছে। পাঁচ বছর আগেও আমি লিখেছিলাম. ‘রাজনৈতিক সরকার যে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে অক্ষম. সে কথা প্রতিষ্ঠার জন্য মন্ত্রীরা যে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়েছেন. সে জন্য বিএনপির উচিত তাঁদেরকে ধন্যবাদ দেওয়া’ (যে নির্বাচনে দুই পক্ষই হেরেছে. প্রথম আলো. ৬ জানুয়ারি. ২০১৪)। তবে এবারে ধন্যবাদটা আরও বড় আকারে দেওয়া উচিত। কারণ. বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদের চেয়েও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে তা বিশ্বাস করানো আগের চেয়েও কঠিন হয়ে পড়েছে। ভোটের দিনে সহিংসতায় ১৭ জনের দুঃখজনক প্রাণহানি সত্ত্বেও নির্বাচন ছিল অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ। তবে আপাতদৃশ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ কম নয়। ভোটের আগেই বাক্স ভর্তি. ভোটারদের ভোট দিতে না পারা ও ব্যালটে সিল মারার মতো অভিযোগ এসেছে। এগুলোর পাশাপাশি প্রদত্ত ভোট ও বিজয়ীদের প্রাপ্ত ভোটের যে উচ্চ হার দেখা যাচ্ছে. তার সঙ্গে খুলনা. রাজশাহী ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী মডেলের অদ্ভুত মিল পাওয়া যায়। অর্থাৎ. এবারের নির্বাচনে সিটি করপোরেশন মডেলের সফল জাতীয় রূপ দেখা গেল। এবারের ভোটের ফলাফল এতটাই বিস্ময়কর যে নির্বাচন বিশ্লেষকেরা ভোটের শতাংশ বা সংখ্যাগুলো কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন. তা-ই বুঝে উঠতে পারছেন না। কয়েকজন প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৯৯ শতাংশ. যেমন বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। আরও এমন অনেক নেতা আছেন. যাঁরা ৯৯ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন এত বেশি প্রার্থী. যা স্বাভাবিক নয়। ফেনীর অঘোষিত রাজা বলে খ্যাত নিজাম হাজারী একটি (অক্সফোর্ড স্কুল) কেন্দ্রের ৩ হাজার ১৬৭টি ভোটের সব কটি ভোটই পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এবং মাহবুব তালুকদার ভোট দিতে গিয়ে বিরোধীদের কোনো এজেন্টকে দেখতে পাননি। ভোট শুরুর প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অসংখ্য অভিযোগ পাওয়ার কথা বলেছেন মাহবুব তালুকদার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব অভিযোগের জবাবে বলেছেন. কোনো প্রার্থী এজেন্ট না দিতে পারলে কমিশনের কী করার আছে। অথচ এক দিন আগে বিরোধীদের এজেন্টদের গ্রেপ্তার এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগের পটভূমিতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ভেতরেই তিনি এজেন্টদের ভয় দেখিয়ে বাধা দেওয়া আর এজেন্ট দিতে না পারার ফারাকটা যেভাবে অস্বীকার করলেন. তা দুঃখজনক। ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্তা এইচ টি ইমাম থেকে শুরু করে অন্য নেতারা এমন ধারণাই তৈরির চেষ্টা করছিলেন যে বিরোধী জোট এতই দুর্বল যে তাদের এজেন্ট দেওয়ার মতো লোকও নেই। বাম জোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তাঁদের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। সব ধরনের অনিয়মের সাক্ষ্য-প্রমাণ আড়াল করতে কমিশনের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও কোনো কোনো এলাকার ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এজেন্টদের প্রতিবাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। বিষয়টি যে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছিল না. বরং সারা দেশের ভোটচিত্রের অভিন্ন বৈশিষ্ট্য. তার সাক্ষ্য একচেটিয়া ভোটের পরিসংখ্যান। দেশীয় সংবাদমাধ্যম. বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের বিশেষ আয়োজনে নিয়মিতভাবে সরকার–সমর্থক আলোচকদের নিয়ে সরকারি ভাষ্যকে ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা ধরনের জল্পনায় সময় কাটিয়েছে। এদের মধ্যে অবশ্য দু-একটা চ্যানেল কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। ভোটের আগের অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করার পর যমুনা টিভির সম্প্রচার কেবল অপারেটররা আগের রাতেই বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ আছে। ফলে অনলাইন ছাড়া তা দেখা যায়নি। তবে দেশীয় সংবাদমাধ্যমের চিত্র যা–ই হোক না কেন. আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর ছবিটা ছিল উল্টো। বিবিসি. সিএনএন. আল–জাজিরা. গার্ডিয়ান. ইন্ডনডিপেনডেন্ট. ডয়েচে ভেলে. ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য ইকোনমিস্ট ভোটের অনিয়মের ছবিগুলোকেই প্রাধান্য দিয়েছে। বিবিসি ভোট দিতে না পারা ভোটারদের সহায়তা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা. ভোট শুরুর আগেই ব্যালট বাক্স ভর্তি. ভোটকেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া পোস্টার-ফেস্টুন ও কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের ফুটেজকেই ব্রিটিশ দর্শকদের সামনে মুখ্য করে তুলে ধরেছে। এমনকি. অর্থনৈতিক পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমস–এর খবরেও ভোট জালিয়াতি. ভোট দিতে না পারা. বিরোধীদের এজেন্ট বিতাড়ন এবং ভোটের অবিশ্বাস্য ব্যবধানের বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। ক্ষমতাসীনেরা ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলই এই নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। বাম জোটের প্রধান শরিক সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম একে ‘ভুয়া ভোটের ভুয়া নির্বাচন’ অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। বাম জোট বলেছে. প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে গোটা নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে সর্বাধিক আসনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দল ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনও এই নির্বাচনকে প্রহসন বলে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধীদের দাবির বিষয়টিও বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। তা ছাড়া অনিয়মের অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে দেখছে বলেও এসব খবরে বলা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তের বিষয়টিকে এসব সংবাদমাধ্যমে অনিয়মের প্রশ্নটিকে কমিশনের স্বীকৃতি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক পরিসরে এই একচেটিয়া বিজয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। বিশেষত. ভোটের আগে বিরোধীদের ঢালাও গ্রেপ্তার. মামলা ও নিবর্তনের বিষয়গুলোতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ-সমালোচনা কারও নজর এড়ায়নি। ফলাফল ঘোষণার পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক টুইটে ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগের কথা প্রকাশ করা হয়েছে। তা ছাড়া. আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের গড়িমসিকে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হিসেবেই বিবেচনা করেছে। প্রার্থী মনোনয়নে বিরোধী ঐক্যফ্রন্টকে যতটা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছে. তা কি এই বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে? সে ক্ষেত্রেও দেখা যায় যে এই বাধা সবচেয়ে বেশি এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রশ্নে সরকারের ভূমিকার কারণে তাদের অনেক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছেন. অনেককে নানা গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে. অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিদ্রোহী প্রার্থীর সমস্যা ঐক্যফ্রন্টে যতটা না হয়েছে. তার চেয়ে ক্ষমতাসীন জোটে তা বরং অনেক বেশিই ছিল। আরও বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে. কথিত মনোনয়ন–বাণিজ্যের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ার কথা যেই দলটির. সেই জাতীয় পার্টিও বিস্ময়কর ফল করেছে। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে রদবদল নিয়ে কম কৌতুক হয়নি। দলটির প্রধান এইচ এম এরশাদ ও তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারেও অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায় না। এই পটভূমিতে তাঁদের দ্বিতীয় প্রধান দল হওয়াকে অলৌকিকই বলতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক গাঁটছড়ার বিষয়টি ভোটের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলেছে. তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। ক্ষমতাসীন জোটের মনোনয়নে স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করা বিকল্পধারার মহাসচিবের নির্বাচিত হওয়া সেই সংশয় জিইয়ে রাখছে। প্রশ্ন হচ্ছে. এই ফলাফলের পরিণতিতে দেশের রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আসবে? কার্যত ঐক্যফ্রন্টের সাতজন ছাড়া পুরো সংসদে মহাজোটের বাইরে কারও থাকার সম্ভাবনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে বসলেও সেটা হবে পাতানো বিরোধী দল। এই দলের কোনো কোনো নেতা বলেছেন. তাঁরা মহাজোটের শরিক হয়ে নির্বাচন করছেন. মহাজোটের শরিকেই থাকতে চান। গত সংসদে বিএনপি না থাকলেও রাজনীতিতে তারাই ছিল সরকারের প্রতিপক্ষ. এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে বলে মনে হয় না। লেখক: সাংবাদিক
1,573,311
2019-01-05
এবার বাংলাদেশি ৩ নারী জড়িত থাকার তথ্য
null
রাহীদ এজাজ. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573310/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A7%A9-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%9C%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF
bangladesh
print
1
আইন ও বিচার|মাদক|শ্রীলঙ্কা|বাংলাদেশ
• শ্রীলঙ্কায় মাদক চোরাচালান• এ পর্যন্ত ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে কলম্বোর পুলিশ• তাঁদের মধ্যে চারজনই নারী• কলম্বোয় গত ৩১ ডিসেম্বর ২৭২ কেজি হেরোইন. ৫ কেজি কোকেনসহ ধরা পড়েন দুই বাংলাদেশি • তদন্তে সহযোগিতা চেয়ে শ্রীলঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াজিরা আবিওয়ার্দানার ফোন। • আগামীকাল রোববার ঢাকায় আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক। • শ্রীলঙ্কায় মাদক চোরাচালান• এ পর্যন্ত ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে কলম্বোর পুলিশ• তাঁদের মধ্যে চারজনই নারী• কলম্বোয় গত ৩১ ডিসেম্বর ২৭২ কেজি হেরোইন. ৫ কেজি কোকেনসহ ধরা পড়েন দুই বাংলাদেশি • তদন্তে সহযোগিতা চেয়ে শ্রীলঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াজিরা আবিওয়ার্দানার ফোন। • আগামীকাল রোববার ঢাকায় আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ইতিহাসে মাদকের সবচেয়ে বড় চালান আটকের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর দেশটির পুলিশ মাদক চোরাচালানে জড়িত এক নারীসহ তিন বাংলাদেশির কথা বলেছিল। তাঁরা এখন কলম্বোয় নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন। নতুন করে যে তিন বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা. তাঁরা সবাই নারী। শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশকে জানিয়েছে. প্রায় দুই বছর ধরে অভিযুক্ত ওই বাংলাদেশি নাগরিকেরা কলম্বোতে মাদক আনা–নেওয়ার কাজে জড়িত। তাঁরা কখনো ঢাকা থেকে সরাসরি কলম্বো আবার কখনো কুয়ালালামপুর থেকে কলম্বো হয়ে ঢাকায় আসা–যাওয়া করেছেন। বাংলাদেশি আরও কয়েকজন নাগরিক কলম্বোয় মাদক চোরাচালানে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কলম্বোর অভিবাসন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী. বাংলাদেশি তিন নারী হলেন শাহীনা আক্তার. রেহানা আখতার ও তানিয়া। এর মধ্যে শাহীনা আক্তার ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ১০ বার শ্রীলঙ্কায় গেছেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি কখনো কুয়ালালামপুর থেকে কলম্বো হয়ে ঢাকায় ফিরেছেন। কখনো কুয়ালালামপুর থেকে কলম্বো হয়ে কুয়ালালামপুরে গেছেন। আবার কখনো ঢাকা থেকে কলম্বো হয়ে আবার ঢাকায় ফিরেছেন। ওই ১৯ মাসে তিনি মূলত শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনস ও মালিন্দো এয়ারে তিনটি গন্তব্যে আসা-যাওয়া করেছেন। শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ কলম্বোর বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানিয়েছে. অস্ট্রেলিয়া থেকে এক বাংলাদেশি শাহীনার সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করতেন। তিনি এখন শ্রীলঙ্কায় নেই। অন্য দুই নারীর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই তাদের কাছে। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক ইতিহাসে মাদকের সবচেয়ে বড় চালান ধরা পড়ে গত ৩১ ডিসেম্বর। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হন দুই বাংলাদেশি বগুড়ার মোহাম্মদ জামালউদ্দিন ও জয়পুরহাটের দেওয়ান রফিউল ইসলাম। তাঁদের কাছ থেকে ২৭২ কেজি হেরোইন ও ৫ কেজি কোকেন জব্দ করা হয়। কলম্বোর উপকণ্ঠ মাউন্ট লাভিয়ানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা মাদকের দাম প্রায় ১৫২ কোটি টাকা। যে ফ্ল্যাট থেকে মাদকের বিশাল এই চালান ধরা পড়েছে. তা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শাহীনা এক বছরের জন‍্য ভাড়া নিয়েছিলেন বলে জানায় শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর কলম্বোর উপকণ্ঠের একই এলাকা থেকে ৩২ কেজি হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশি এক নারীকে. নাম সূর্যমণি। তিনি গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে মালয়েশিয়া থেকে কলম্বোয় পৌঁছান বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে একটি বিশেষ অভিযানে শ্রীলঙ্কায় একসঙ্গে আটক হয়েছিল ২৬১ কেজি মাদক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এই তথ্য দিয়েছে। এদিকে ৩ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি রফিউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কলম্বোর একটি কূটনৈতিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে. জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে কলম্বো থেকে মুঠোফোনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন. শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধেই হাইকমিশনের একজন প্রতিনিধি জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত ছিলেন। গতকাল জামালউদ্দিনকেজিজ্ঞাসাবাদ করেছেএসটিএফ। এ সময়ও হাইকমিশনের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কায় ধরা পড়ার আগে জামালউদ্দিন ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে ৩০টি ইয়াবা বড়িসহ শহরের রূপকথা হাউজিং এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর জামালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলাটি বগুড়ার আদালতে বিচারাধীন। শ্রীলঙ্কায় মাদকসহ গ্রেপ্তারের খবর ২ জানুয়ারি প্রথম আলোয় প্রকাশিত হওয়ার পর বগুড়ায় জামালের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাঁর সঙ্গে ধরা পড়া রফিউল ইসলামের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার রামনগর চাঁদপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় কোনো মামলা নেই বলে পুলিশ জানায়। শ্রীলঙ্কার পুলিশি হেফাজতে থাকা আরেক বাংলাদেশি নারী সূর্যমণি গত অক্টোবরের শুরুতে মালয়েশিয়া থেকে কলম্বো যান। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে. জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্রীলঙ্কার পুলিশকে বলেছিলেন বাংলা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা জানেন না। কিন্তু পরে জানা গেছে. সূর্যমণি ইংরেজির পাশাপাশি সিংহলি ভাষায় কথা বলতে পারেন। এদিকে শ্রীলঙ্কায় মাদক পাচারে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় করণীয় ঠিক করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাল রোববার ঢাকায় আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
1,573,310
2019-01-05
ও আমার দেশের মাটি
মৃত্তিকা সংগ্রহশালা
নাবিলা কবির
null
https://www.prothomalo.com/pachmisheli/article/1573308/%E0%A6%93-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF
pachmisheli
print
1
ছুটির দিনে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন। এই ভবনের নিচতলায় কিছুদূর এগোতেই নিচে নামার সিঁড়ি। নিচতলা থেকে আরও নিচে! সঙ্গের বন্ধু তাই রসিকতা করে বলল. ‘সয়েল আর্কাইভ বা মৃত্তিকা সংরক্ষণাগার দেখতে হলে মাটির নিচে গিয়েই দেখতে হবে দেখছি।’ মাটির ২০ ফুট নিচে নেমে দেখি কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে। তবে কি আজ আর্কাইভ বন্ধ? একজন আরেজনের দিকে তাকিয়ে ওপরে প্রায় উঠেই এসেছি. তখন দেখা সংরক্ষণাগারের তত্ত্বাবধায়ক উজ্জ্বল কুন্ডুর সঙ্গে। তিনি নিচে নিয়ে গেলেন। জানালেন. নিরাপত্তার স্বার্থে তালা দিয়ে রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে অবশ্য নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আর্কাইভ খোলাই থাকে। ফটক খুলতেই জ্যামিতিক আকৃতির ঘরে দেখি থরে থরে শত শত বাক্স সাজানো। সেসব বাক্সেই বন্দী পুরো বাংলাদেশের মাটি। প্রায় এক হাজার বর্গফুটের ছোট একটি ঘরে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়াকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। একটি বাক্সের মধ্যে রাখা আরও তিনটি বাক্স। আর তাতে রয়েছে মাটি। বাক্সের গায়ে আবার নম্বর বসানো। জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল. এই নম্বরই মাটির পরিচয়। পুরো বাংলাদেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে তাদের মধ্যে দেওয়া হয়েছে প্লট নম্বর। প্লট নম্বর দেখে বলে দেওয়া যাবে কোনটি কোন অঞ্চলের মাটি। ১৬৯৮টি প্লটের ৪২২৫টি মাটির নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে এখানে। আর্কাইভের এক মাথায় রয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র. যেখানে অঞ্চল ও প্লট নম্বর দেওয়া রয়েছে. যার সঙ্গে মিলিয়ে যে কেউ বুঝে নিতে পারবেন সে জায়গার মাটি কোনটি। ছোটখাটো আর্কাইভটি সংগ্রহের দিক দিয়ে বেশ সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ বন বিভাগের সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে. জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কারিগরি সহায়তায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইডের আর্থিক সহযোগিতায় এই মৃত্তিকা আর্কাইভ গড়ে তোলা হয়েছে। ভবিষ্যতে একে আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা আছে। জানালেন উজ্জ্বল কুন্ডু। বন বিভাগ. কৃষি বিভাগ. পরিবেশ বিভাগ. মৃত্তিকা সম্পদ বিভাগসহ কৃষির সব খাতের জন্য গবেষণাকে সহজ করার জন্যই গত বছরের ৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয়েছে এই আর্কাইভ।
1,573,308
2019-01-05
পল্লী বিদ্যুতের ৮০০ ভ্যান নামছে. ৫ মিনিটে সংযোগ
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. ঝিনাইদহ
২৩
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573306/%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AE%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A7%AB-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97
bangladesh
print
1
সরকার|বিদ্যুৎ সংযোগ
• বাড়ি বাড়ি যাবে ভ্যান• ভ্যানগুলোতে থাকবে বিদ্যুতের মিটার• সব প্রক্রিয়া শেষে মাত্র ৫ মিনিটেই দেওয়া হবে নতুন সংযোগ • বাড়ি বাড়ি যাবে ভ্যান• ভ্যানগুলোতে থাকবে বিদ্যুতের মিটার• সব প্রক্রিয়া শেষে মাত্র ৫ মিনিটেই দেওয়া হবে নতুন সংযোগ দেশের গ্রামাঞ্চলে আজ শনিবার থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮০০ রিকশা–ভ্যান নামছে। বাড়ি বাড়ি যাবে এসব ভ্যান। ভ্যানগুলোতে থাকবে বিদ্যুতের মিটার. তারসহ নতুন বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার সব সরঞ্জাম। গ্রাহক বিদ্যুৎ–সংযোগ চাইলে তাৎক্ষণিক সব প্রক্রিয়া শেষে মাত্র ৫ মিনিটেই দেওয়া হবে নতুন সংযোগ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে. পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দীন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপকদের (জিএম) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রতিটি সমিতি থেকে অন্তত ১০টি করে রিকশা–ভ্যান নামিয়ে এভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়া ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. আলতাফ হোসেন এসব তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন. পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশের পর গত শুক্রবারই তিনি রিকশা–ভ্যান প্রস্তুত করেছেন। শনিবার থেকে সেগুলো মাঠে নেমে কাজ করবে। একইভাবে দেশের অন্যান্য স্থানেও শনিবার থেকে ভ্যান নামবে। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব-জোনাল অফিসের এজিএম শেখ আবদুর রহমান গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ভ্যানে সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। সঙ্গে থাকছেন দুজন লাইনম্যান ও একজন ওয়্যারিং পরিদর্শক। যাঁরা নতুন সংযোগ নিতে চাইছেন. তাঁদের সব প্রক্রিয়া শেষ করে মাত্র ৫ মিনিটে নতুন সংযোগ দিচ্ছেন। হয়রানি. ভোগান্তি ও বাড়তি অর্থ খরচ ছাড়াই গ্রাহকেরা সংযোগ পাচ্ছেন। ৪ দিনে এভাবে তিনি ৫৪টি সংযোগ দেন। তিনি এই কর্মসূচির নাম দিয়েছেন ‘আলোর ফেরিওয়ালা’। হরিণাকুণ্ডুতে পল্লী বিদ্যুতের এই উদ্যোগ নিয়ে ৩ জানুয়ারি প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘পাঁচ মিনিটে নতুন বিদ্যুৎ–সংযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে. এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা পল্লী বিদ্যুতের উচ্চপর্যায়ে সাড়া ফেলে এবং উচ্চপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা হরিণাকুণ্ডুর শেখ আবদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। বিষয়টি দেখে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএমদের নিয়ে ওই ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে ওই উদ্যোগকে মডেল হিসেবে নিয়ে প্রতিটি সমিতিকে অন্তত ১০টি করে এমন ভ্যান নামানোর নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী আজ থেকে ৮০০টি ভ্যান নামছে।
1,573,306
2019-01-05
রুমানার প্রত্যয়
null
রানা আব্বাস
https://www.prothomalo.com/we-are/article/1573305/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%9F
we-are
print
1
ছুটির দিনে|তরুণ
আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। ২০১৯ সালটা রাখতে চান আরও স্মরণীয় করে. শোনালেন সে প্রত্যয়ের কথা। আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। ২০১৯ সালটা রাখতে চান আরও স্মরণীয় করে. শোনালেন সে প্রত্যয়ের কথা। বছরের শেষ দিনে রুমানা আহমেদ যখন সুসংবাদটা পেলেন. তিনি ছুটি কাটাতে তখন খুলনায়। ফোনের পর ফোন. এসএমএসে একের পর এক অভিনন্দন বার্তা—বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক যে জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসি ঘোষিত মেয়েদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে। ২০১৮ সালটা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে ভীষণ স্মরণীয় হয়ে থাকবে একটি কারণেই. জুনে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জেতা। আর সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল রুমানার। বাংলাদেশকে শিরোপা জেতানোর টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে নেন ১০ উইকেট। ফাইনালে হন ম্যাচসেরা। রুমানা অবশ্য তাঁর লেগ স্পিন আর ব্যাটিং দুটি দিয়ে অনেক দিন ধরেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের একমাত্র হ্যাটট্রিকের গৌরবটা তাঁরই। গত বছর ২৪ টি-টোয়েন্টিতে ৩০ উইকেট আর ২২৯ রান করে বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারে রুমানা ছিলেন দুইয়ে. অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেও তাঁকে রাখতে হবে সেরা তিনে। দুর্দান্ত এক বছর কাটানো বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডারকে তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে রাখতে খুব একটা ভাবতে হয়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার বিচারক প্যানেলকে। এমন অর্জনে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত রুমানা। তবে তিনি নাকি ভাবতে পারেননি আইসিসির বর্ষসেরা দলে জায়গা পাবেন। যেমনটি বলছিলেন. ‘বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে এটাই বোধ হয় প্রথম। আমার জীবনে নতুন এক অভিজ্ঞতা। ভীষণ ভালো লেগেছে। ২০১৮ সালটা আমার অনেক ভালো কেটেছে। তবে খুবই চমকে গিয়েছিলাম। এতটা প্রত্যাশা করিনি। নিজের কাছে অনেক বড় অর্জন মনে হয়েছে। ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি বলা যায়। এই দলে থাকাটা আরও সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।’আইসিসির দলে জায়গা পেতে হয়তো বড় অবদান রেখেছে মেয়েদের এশিয়া কাপে রুমানার পারফরম্যান্স। যে টুর্নামেন্ট জিতে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়েছে। এশিয়া কাপের শিরোপা জয় বাংলাদেশকে এতটা আত্মবিশ্বাসী করে. কদিন পরই দুর্দান্ত প্রতাপে পেরিয়ে যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বও। কিন্তু আসল মঞ্চেই আলো ছড়াতে পারেননি বাংলাদেশের মেয়েরা। নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে প্রতিটি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে ভালো না করায় এ ভরাডুবি হলেও রুমানা বললেন. ব্যর্থতার পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে. ‘বিশ্বকাপ বড় মঞ্চ। এ ধরনের টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে আগ থেকে জয়ের অভ্যাস থাকতে হবে। আর জয়ের অভ্যাস গড়তে প্রচুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে। সামনে যদি বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারি. বিশ্বকাপেও আমরা ভালো করতে পারব। এটা নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা ভাবছি কতটা এগোতে পারছি।’রুমানা যে এগোনোর কথা বললেন. ২০১৮ সালটা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট আসলেই কতটা এগিয়েছে. প্রশ্নটা এসে যাচ্ছে। এটা ঠিক. এশিয়া কাপের মতো বড় সাফল্য এসেছে গত বছর। এত বড় সাফল্য বাংলাদেশ ক্রিকেটেই আগে কখনো আসেনি। তবু রুমানা কিছু বাস্তবতা মনে করিয়ে দিলেন. ‘হ্যাঁ. অবশ্যই আমরা এগিয়েছি। তবু বলব কিছু জায়গায় এখনো আমরা অনেক পিছিয়ে। বিশ্বকাপের পর দেখেন বেশির ভাগ দলই ব্যস্ত খেলা নিয়ে। আমরাই শুধু বসে আছি। ভারতীয় খেলোয়াড়েরা বিশ্বকাপ খেলে এসে ব্যস্ত ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে। এরপর তারা নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। বাংলাদেশ সেখানে পরের সিরিজ কার বিপক্ষে খেলবে. সেটি জানি না। জানি একটা ঘরোয়া লিগ হবে। কিন্তু ঘরোয়া লিগ তো সব নয়। ভালো কিছু করতে হলে আমাদের বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে।’|বিসিবি সূত্রে জানা গেল. আগামী মার্চে নেপালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়া গেমস দিয়ে মেয়েরা ফিরবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। রুমানা মনে করেন. বছরে যদি চার-পাঁচটা সিরিজ-টুর্নামেন্টে খেলতে পারেন. সামনে আরও বড় সাফল্য আসবে তাঁদের হাত ধরে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা কবে থেকে শুরু. সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও তিনি বসে নেই। ব্যক্তি উদ্যোগে ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে কাজ করছেন। আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়ে যে বেড়ে গেছে রুমানার স্বপ্নের পরিধি. ‘সব সময়ই চেষ্টা করি সফল হতে। দলকে সাফল্য এনে দিতে আমাকে ভালো খেলতেই হবে। ২০১৮ অনেক ভালো গেছে। এ বছর আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব। ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে কাজ করছি। পেছনে যেটা গেছে. গেছে। এবার ২০১৯ সালটা আরও স্মরণীয় করে রাখতে চাই। র​্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরে উঠতে চাই. এক-দুইয়ে চলে আসতে চাই। ভালো খেললে র​্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি এমনিই হবে। আর সেটা হলে ভবিষ্যতে এমন সুখবর আরও পাওয়া যাবে।’রুমানার ‘আরও সুখবর’ শুনতে অপেক্ষায় থাকবে বাংলাদেশ।
1,573,305
2019-01-05
শখ থেকে স্বর্ণ
null
মাহফুজ রহমান
null
https://www.prothomalo.com/pachmisheli/article/1573301/%E0%A6%B6%E0%A6%96-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3
pachmisheli
print
1
ছুটির দিনে
ডাকটিকিটের সমৃদ্ধ এক সংগ্রহ আছে শেখ শফিকুল ইসলামের। তাঁর কাছে আছে পূর্ববঙ্গের রাজস্ব ডাকটিকিটও। এই সংগ্রহ প্রদর্শন করে ইন্দোনেশিয়ায় আয়োজিত ‘ফোর নেশনস স্ট্যাম্প এক্সিবিশনে’ স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশি ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের মধ্যে এটাই প্রথম স্বর্ণপদক। শেখ শফিকুল ইসলাম এই সংগ্রহসহ আরও তিনটি সংগ্রহ দেখালেন আমাদের। ডাকটিকিটের সমৃদ্ধ এক সংগ্রহ আছে শেখ শফিকুল ইসলামের। তাঁর কাছে আছে পূর্ববঙ্গের রাজস্ব ডাকটিকিটও। এই সংগ্রহ প্রদর্শন করে ইন্দোনেশিয়ায় আয়োজিত ‘ফোর নেশনস স্ট্যাম্প এক্সিবিশনে’ স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশি ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের মধ্যে এটাই প্রথম স্বর্ণপদক। শেখ শফিকুল ইসলাম এই সংগ্রহসহ আরও তিনটি সংগ্রহ দেখালেন আমাদের। শেখ শফিকুল ইসলামের ভাষায়. ‘প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ডাকটিকিট সংগ্রহ করছি। এখন আমার বয়স ৫৮। দীর্ঘ এই সময়ে সংগ্রহ কম হয়নি!’ তা ঠিক কতগুলো ডাকটিকিট সংগ্রহ করেছেন এই জীবনে? এই প্রশ্নে তিনি এমনভাবে হাসলেন যেন আকাশের তারার সংখ্যা জানতে চেয়েছি। মোটা দাগে ৩০টি সংগ্রহ আছে তাঁর। এ পর্যন্ত বিশ্বের নামকরা প্রায় সব প্রদর্শনীতে দেখিয়েছেন সংগ্রহগুলো। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার আর সীমাহীন আনন্দ। প্রশ্ন করে জানা গেল বর্তমানের ১৯৫টি দেশের তিন লাখের বেশি ডাকটিকিট রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। শেখ শফিকুল ইসলাম সফল ব্যবসায়ী। দারুণ গোছানো মানুষ। ঢাকার গুলশান ১–এ তাঁর বাসা। সেখানেই কথা হচ্ছিল। পরিপাটি বসার ঘর। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ডাকটিকিটের সংগ্রহশালাটিও নিপুণ হাতে গোছানো। কিন্তু ওই গোছানো সংগ্রহশালা দেখতে দেখতেই মাথায় প্যাঁচ লেগে গেল! কত রং. আকার. বয়স. দাম আর গন্ধের ডাকটিকিট যে সাজিয়ে রাখা তাঁর অ্যালবামগুলোতে! কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখি অবস্থা। কিংবা বলা যায়. ফুলের বনে যার পাশে ‘যাই’ তারেই লাগে ভালো। কোনোটা দেখতে সুন্দর. কোনোটির দাম শুনে মুখ হাঁ হয়ে যায়. কোনোটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব শিহরণ জাগায়।আবার বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডাকটিকিটগুলো ছুঁয়ে দিলে কেমন গর্ববোধ হয়। তাই এই বিচিত্র ৩০টি সংগ্রহ থেকে বাছাই করা ৪টি নিয়ে বিস্তারিত বললেন শেখ শফিকুল ইসলাম। পূর্ববঙ্গের রাজস্ব ডাকটিকিট এই রাজস্ব ডাকটিকিটগুলো ব্যবহৃত হয়েছিল ১৭১২ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে। রাজস্ব ডাকটিকিট বলতে বিচারকাজ ও বিচারকাজের বাইরে এগুলো ব্যবহার করা হতো। এগুলোর মধ্যে ১৮৩১ সালের একটি দুষ্প্রাপ্য। যশোরের কোনো এক ব্যক্তির জমির মালিকানা হস্তান্তরের দলিল। এতে ১ হাজার ৬০০ রুপির রাজস্ব ডাকটিকিট ব্যবহৃত হয়েছে। এর আর দ্বিতীয় কোনো কপি নেই বলে জানালেন শেখ শফিকুল ইসলাম; ফলে দামও অনেক। ১৭১২ সালের আরেকটি দানপত্র চোখে পড়ল. ফারসি ভাষায় লেখা। প্রাচীন কাগজটি হাতে নিতেই মনে হলো. অতি বৃদ্ধ কোনো মানুষের হাত ধরেছি! ২০০৪–০৫ সাল থেকে এগুলো সংগ্রহ করছেন শেখ শফিকুল ইসলাম। মজার ব্যাপার হলো. এগুলোর কোনোটাই তিনি বাংলাদেশ বা ভারত থেকে সংগ্রহ করেননি। যুক্তরাজ্য. ফ্রান্স. অস্ট্রেলিয়াসহ আরও বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে ছিল পূর্ববঙ্গের দলিলগুলো! এই সংগ্রহের জন্য ২০০৯ সালে কোরিয়া থেকে লার্জ সিলভার পদক জিতেছিলেন শফিকুল। তারপর গত বছরের আগস্ট মাসে ইন্দোনেশিয়া. মালয়েশিয়া. থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর—এই চার জাতি আয়োজিত ‘ফোর নেশনস স্ট্যাম্প এক্সিবিশনে’ থেকে পেলেন স্বর্ণ। আর এ পর্যন্ত মোট ১০টি পুরস্কার পেয়েছেন এই সংগ্রহের জন্য। পাকিস্তানি ডাকটিকিটের ওপর ‘বাংলাদেশ’ ওভারপ্রিন্ট কেবল ডাকমাশুল আদায়ের জন্য নয়. বাংলাদেশের প্রথম ৮টি ডাকটিকিট স্বাধীনতা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করেছিল। স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির জন্য মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে ওই ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। শেখ শফিকুল ইসলাম বলছিলেন. ‘ডাকটিকিট প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশে ডাকঘরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে। স্বাধীনতার পরও অবশ্য পাকিস্তানের ডাকটিকিট চালু ছিল। সে ক্ষেত্রে ডাকটিকিটে “পাকিস্তান” শব্দটির ওপর “বাংলাদেশ” শব্দটি ওভারপ্রিন্ট করা হতো। ১৯৭৩ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এমনটা করা হয়েছিল। আর পাকিস্তানি খাম–পোস্টকার্ডের ব্যবহার ছিল ১৯৭৪ সালের ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এর মধ্যে অল্প কিছু খামের ওপর পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টাররা লিখে দিয়েছিলেন. “এই পোস্ট অফিসে এই রবার স্ট্যাম্পটি পাকিস্তানি স্ট্যাম্পের ওপর ব্যবহৃত হচ্ছে”।’ এ ধরনের ডাকটিকিটের সংখ্যা কম বলে শেখ শফিকুল ইসলামের এই সংগ্রহও মূল্যবান। তাঁর ভাষায়. ‘এই সংগ্রহটি আমার খুব প্রিয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী এই ডাকটিকিট বা খামগুলো নিছক কাগজের টুকরা নয়. আরও বেশি কিছু।’ মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশে ডাকঘরের যাত্রা শুরুর পুরো সময়টার ডাকটিকিট. খাম. পোস্টকার্ডসহ নানা কিছু সংগ্রহ করেছেন শেখ শফিকুল ইসলাম। এসব নিয়ে পোস্ট অফিস রাবারপ্রিন্ট ‘বাংলাদেশ’ অন পাকিস্তান স্ট্যাম্প অ্যান্ড পোস্টাল স্টেশনারি ১৯৭১–১৯৭৪ নামে একটি বই–ও প্রকাশ করেছেন ২০১৫ সালে। বইটির জন্য ২০১৬ সালে নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড স্ট্যাম্প শোতে ‘লার্জ সিলভার’ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বইটির নতুন সংস্করণ করছেন প্রভিশনাল ওভারপ্রিন্টস ক্ল্যাসিফিকেশন নামে। এ পর্যন্ত এই সংগ্রহের জন্য পেয়েছেন ১৫টি পুরস্কার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকদের চিঠির খাম ১৯৭৪–৭৫ সালের কথা। শেখ শফিকুল ইসলাম তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুরে সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন। ‘সে সময় আমাদের আত্মীয় পীর শাহ মঈনুদ্দীন চিশতির বাড়িতে গিয়ে গুপ্তধনের খোঁজ পেলাম!’ বলছিলেন শফিকুল. ‘তখন পিয়নের পেছন পেছন সারা দিন ঘুরতাম একটা ডাকটিকিটের জন্য। ওই বাড়িতে গিয়ে মনে হলো. এ তো গুপ্তধন। বড় এক ঘরের ছাদে ঝুলে থাকতে দেখলাম অনেকগুলো খাম। ব্যস. হাজারো মাকড়সার জাল দুহাতে সরিয়ে সেগুলো নামিয়ে আনলাম। অনেক চিঠি। অধিকাংশই আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বাঙালি সৈনিকদের লেখা। পীর সাহেবের মুরিদ হিসেবে লিখেছিলেন তাঁরা। ওগুলোর মূল্য বোঝার বয়স তখন আমার ছিল না। কেবল ডাকটিকিটগুলোই নিয়ে এসেছিলাম।’ দীর্ঘ ২০ বছর পর শফিকুল ঠিকই উপলব্ধি করলেন. গুপ্তধনের কিছুই তো তিনি নিয়ে আসেননি। ফলে আবার ফিরে গেলেন ওই বাড়িতে। আগের চেয়েও আরও অযত্নে পড়ে ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকদের লেখা চিঠির খামগুলো। গুরমুখী. আরবি. রোমান. উর্দু—কত ভাষায় লেখা সেসব চিঠি! এগুলোর গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে ‘সেন্সর’ করার কারণে। অর্থাৎ চিঠির অনেক কিছুই মুছে দেওয়া হয়েছিল। এই সংগ্রহ শেখ শফিকুল ইসলামকে এনে দিয়েছে ৫টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। যুগে যুগে বৈশ্বিক যোগাযোগ অধিকাংশ নবীন ডাকটিকিট সংগ্রাহকের বেলায় রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলার এই কথাগুলো খুব খাটে. ‘ইচ্ছেমতো কুড়িয়ে-বাড়িয়ে যা পেয়েছি ঝুলি ভরতি করেছি তাই দিয়েই’। কিন্তু শেখ শফিকুল ইসলামের পরামর্শ. ‘নতুন যারা ডাকটিকিট সংগ্রহ করছে. তারা একটা বিষয় বেছে নিলে ভালো করবে। যা পাই তা–ই সংগ্রহ করি—এমনটা হলে জট পাকিয়ে যায়। আমি যেমন এই সংগ্রহটি সাজিয়েছি বৈশ্বিক যোগাযোগ নিয়ে।’ কী আছে এই অ্যালবামে? বতসোয়ানার ডাকটিকিটে দেখা যাচ্ছে গুহাচিত্র. অস্ট্রিয়ার ডাকটিকিটে টাইপরাইটার. ভারতের ডাকটিকিটে টেলিফোন আবার যুক্তরাষ্ট্রের ডাকটিকিটে শিক্ষক–শিক্ষার্থীর কথোপকথন। যোগাযোগের প্রায় সব মাধ্যমই উঠে এসেছে এই সংগ্রহে। এমনকি সংগীত তারকার সঙ্গে শ্রোতার যোগাযোগ কিংবা স্যাটেলাইটের মতো বিষয়ও বাদ যায়নি। শেখ শফিকুল ইসলামের ভাষায়. ‘পৃথিবীটাই চলছে যোগাযোগের কারণে। যোগাযোগ কোথায় নেই? আদিম যুগ থেকে এই আধুনিক যুগের যোগাযোগব্যবস্থা ডাকটিকিটে দেখা যায়। আমি সেসব নিয়েই গবেষণা ও সংগ্রহ করেছি। সংগ্রহটির জন্য গত বছর “ফোর নেশনস স্ট্যাম্প এক্সিবিশনে” লার্জ ভার্মিল পেয়েছি আমি।’
1,573,301
2019-01-05
স্বস্তির পাশাপাশি আছে অনেক চ্যালেঞ্জ
null
জাহাঙ্গীর শাহ. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/economy/article/1573297/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C
economy
print
1
বাণিজ্য সংবাদ
• বড় প্রবৃদ্ধি নিয়ে নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার• এ সময়ে আবার ভ্যাট আইন চালু করতে হবে• শেষ করতে হবে বড় দুটি প্রকল্প • উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি কমাতে হবে তীব্র আয়বৈষম্য • থাকবে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদ • বড় প্রবৃদ্ধি নিয়ে নতুন বছর শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার• এ সময়ে আবার ভ্যাট আইন চালু করতে হবে• শেষ করতে হবে বড় দুটি প্রকল্প • উচ্চ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি কমাতে হবে তীব্র আয়বৈষম্য • থাকবে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার তাগিদ নতুন বছরে অর্থনীতিতে যেমন স্বস্তির খবর থাকবে. তেমনি কিছুটা চাপও থাকবে। স্বস্তির বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো. দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি বিনিয়োগের স্থবিরতার অবসান ঘটাতে এ বছরই কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি কারখানা স্থাপনের জন্য প্রস্তুত হবে। আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে চলতি অর্থবছরেই সার্বিকভাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের ঘরে পৌঁছাবে। আবার এ বছরই পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। এই দুটি মেগা প্রকল্প শেষ হলে তা অর্থনীতির জন্য বড় অর্জন হবে। তবে আদৌ চলতি বছর প্রকল্প দুটি শেষ হবে কি না. তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। চলতি বছরে নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে অস্বস্তিকর বিষয় হতে পারে নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন। ব্যবসায়ীদের তীব্র আপত্তির মুখে ২০১৭ সালের জুন মাসে আইনটির বাস্তবায়ন দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী জুলাই থেকে নতুন আইনটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। আবার ব্যাংক খাতে এখন ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ খেলাপি হয়ে আছে। রয়ে গেছে বড় বড় কয়েকটি ব্যাংক কেলেঙ্কারির রেশ। এই খাতে স্বজনপ্রীতি. অনিয়ম দূর করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আছে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। এসব বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. ‘এ বছর অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ শুরু হলে. তা ভালো খবরই হবে। তবে শুধু অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কাজ শেষ করলেই হবে না। একজন বিনিয়োগকারীর অন্য সুবিধা যেমন ওয়ানস্টপ সার্ভিস. শুল্ক আইন. কোম্পানি আইন. দক্ষতা উন্নয়ন আইনসহ ব্যবসা সহজীকরণের সংস্কার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি আরও বলেন. উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক খাতের অনিয়মের পেছনে ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতা—দুজনই দায়ী; দোষীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণ প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে হবে। এসব করতে পারলে সব মিলিয়ে আমরা একটি রূপান্তরমূলক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাব।’ সম্ভাবনাবেসরকারি বিনিয়োগ কয়েক বছর ধরেই জিডিপির অনুপাতে ২১-২২ শতাংশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। বিনিয়োগের স্থবিরতা কাটাতে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো খবর হলো. এ বছরই অন্তত চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। ওই চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী. মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল. চট্টগ্রামের আনোয়ারার চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও খুলনা অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা নির্মাণের জন্য কয়েক শ শিল্প প্লট প্রস্তুত হয়ে যাবে। এতে বিনিয়োগ যেমন বাড়বে. নতুন কর্মসংস্থানও হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। যদিও লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। গত কয়েক মাসে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একাধিকবার সাংবাদিকদের বলেছেন. চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অন্তত সোয়া ৮ শতাংশ হবে। স্বাধীনতার পর এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। এর আগে ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে ১২ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এর আগের বছর প্রবৃদ্ধি খুব কম হওয়ায় ওই বছর (১৯৭৪-৭৫) প্রবৃদ্ধি এমনভাবে বেড়েছে। অন্যদিকে নতুন বছর একটি স্বস্তিদায়ক মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হচ্ছে। গত ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধি বনাম বৈষম্যপ্রখ্যাত সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সম্প্রতি ২০১৯ সালের বিশ্ব প্রবৃদ্ধির একটি পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে. চলতি বছরে শীর্ষ প্রবৃদ্ধির পাঁচটি দেশের একটা হবে বাংলাদেশ। এ বছর সবচেয়ে ভালো করবে সিরিয়া। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ. প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকবে ভুটান. এরপরের স্থানে ভারত. প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। শীর্ষ পাঁচের শেষ দেশটি রুয়ান্ডা. ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এর আগে গত অক্টোবরে বহুজাতিক ব্যাংক দ্য হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়ে ৭৫টি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে বলেছে. ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপির বিবেচনায় বিশ্বের ২৬ তম বড় অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ৪২ তম। বাংলাদেশের পেছনে থাকবে মালয়েশিয়া. ভিয়েতনাম. ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের মতো দেশ। তবে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও এ নিয়ে বড় ধরনের দুশ্চিন্তাও আছে। বৈষম্য বেড়ে যাওয়াই এর প্রধান কারণ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত নভেম্বর মাসে গবেষণা করে দেখিয়েছে. বাংলাদেশ উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও এখনো প্রতি চারজনের একজন অতিদরিদ্র আর প্রতি আটজনের একজন দারিদ্র্যের নিম্নসীমার নিচে রয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধি হলেও অসমতা বা বৈষম্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন. সেসব দেশকে উন্নয়ন তত্ত্বে উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়. বাংলাদেশ এখন এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সুতরাং আয়বৈষম্য কমানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন সবাই। আশা ও অনিশ্চয়তা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে অগ্রাধিকারভিত্তিতে মেগা প্রকল্প নিতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার। এই তালিকায় আছে পদ্মা সেতু. মেট্রোরেল. চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র. মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র. পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা–খুলনা রেলপথ নির্মাণ অন্যতম। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু ও রাজধানীর মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শেষ করতে চায় সরকার। প্রকল্প প্রস্তাবেও সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ। আগামী ডিসেম্বর মাসে পদ্মা সেতু শেষ হলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ করা নিয়ে সংশয় আছে। ২০০৭ সালে একনেক এই প্রকল্পে প্রথম ব্যয় ধরেছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর এখন তা প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবায়নের সময় বাড়লে খরচও বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে মেট্রোরেলের কাজ শেষ হলে রাজধানীর নাগরিকেরা প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে যানজটে নাকাল হওয়ার হাত থেকে রাজধানীবাসীর কিছুটা মুক্তি মিলবে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ২০ শতাংশের মতো হলেও বাস্তবায়ন অগ্রগতি অনেক বেশি বলে জানা গেছে। চ্যালেঞ্জ অনেক ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক মাসের মধ্যে ভ্যাট আইন চালু করতে হবে। আগামী জুলাই মাসে এই আইন চালু করার ঘোষণা আছে। ২০১২ সালের এই আইন প্রথম পাঁচ বছর শুধু প্রস্তুতির জন্য রাখা হয়েছিল। এই সময় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে ভ্যাট আইন নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) ভ্যাটের যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে করার প্রস্তুতি নিয়েছে। নতুন আইনে ভ্যাট হার একটি. তা হলো ১৫ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা চেয়েছিলেন একাধিক ভ্যাট হার। কিন্তু ২০১৭ সালের জুলাই মাসে এই ভ্যাট আইন চালুর ঠিক আগে ব্যবসায়ীদের তীব্র আপত্তির মুখে সরকার পিছু হটে। আইনটি দুই বছর পিছিয়ে দিয়ে আগামী জুলাই মাসে নতুন সময় ঠিক করা হয়। অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় আছে ব্যাংক খাত। সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার মতো রিজার্ভ চুরি। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে এই খাতে হল–মার্ক. বেসিক ব্যাংক. ফারমার্স ব্যাংক. জনতা ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। অনিয়ম করে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। একই পরিবারের হাতে বেসরকারি ব্যাংকের মালিকানা দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে ব্যাংক আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক খাত সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখন নতুন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন. সর্বস্তরের মানুষের সমর্থনের কারণে নতুন সরকারের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। তিনি চান. ব্যবসা সহজ করা. সময়ের কাজ সময়েই শেষ না করলে জবাবদিহি নিশ্চিত করা. হয়রানিমুক্ত কর ব্যবস্থা. বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া. ব্যাংকঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা।
1,573,297
2019-01-05
মৃত্যুর ১৪ বছর পর স্বীকৃতি
শব্দসৈনিক আনোয়ারুল আবেদীন
আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ রাজশাহী
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573295/%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%AA-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF
bangladesh
print
1
ছুটির দিনে|মুক্তিযুদ্ধ
চিঠিটা যখন এসে বাড়িতে পৌঁছাল. তার প্রায় ১৪ বছর আগে মারা গেছেন প্রাপক। প্রাপকের ভাই ‘একমাত্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কার্যে ব্যবহার্য’ লেখা খামটি বুঝে নিলেন। খাম খুলে দেখেন. ছোট ভাই আনোয়ারুল আবেদীনের নাম মুক্তিযুদ্ধের ‘শব্দসৈনিক’ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটভুক্ত হয়েছে। সেই গেজেটেরই একটি পাতার ফটোকপি রয়েছে খামের ভেতর। শব্দসৈনিকের বড় ভাই আশফাকুল আশেকীন বলছিলেন. ‘গত বছরের জুন মাসে সে চিঠিখানা হাতে পেয়েছি। আনোয়ারুল আবেদীন মারা যান ২০০৪ সালের ১৬ এপ্রিল। তাঁর ডাকনাম ছিল টুলু। তাঁর মৃত্যুর ১৪ বছর এবং বিজয়ের ৪৭ বছর পর এই স্বীকৃতি আমাকে হতবিহ্বল করে ফেলেছিল।’ আনোয়ারুল ও আশফাকুল যমজ ছিলেন। পাঁচ মিনিটের ছোট ছিলেন আনোয়ারুল আবেদীন। যুদ্ধদিনের আনোয়ারুল আবেদীন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের কলকাতায় অবস্থিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রশাসনিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন আনোয়ারুল আবেদীন। তিনি একজন শব্দসৈনিক. স্ক্রিপ্ট রাইটার. গীতিকার. কথক শিল্পী ছিলেন। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিতভাবে ‘মীরজাফরের রোজনামচা’ এবং ‘জনতার আদালত’ নামে দুটি কাউন্টার প্রপাগান্ডা লিখতেন এবং স্বকণ্ঠে প্রচার করতেন। আনোয়ারুল আবেদীনের স্ত্রী ড. ফরিদা সুলতানা বলছিলেন. ‘আনোয়ারুল আবেদীন যুদ্ধে গিয়েছিলেন পরিবারের কাউকে না জানিয়ে। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল রাজশাহীর চারঘাটে যেদিন যুদ্ধ হয়. সেদিন চারঘাটের একটি দলের সঙ্গে তিনি ভারতে চলে যান। যুদ্ধে যাওয়ার পরে পরিবারের সদস্যরা ধরেই নিয়েছিলেন. তিনি হয়তো বেঁচে নেই। পরে তাঁর হাতের লেখা একটি চিঠি থেকে জানা যায়. তিনি বেঁচে আছেন।’ আনোয়ারুল আবেদীনের বাড়ি রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার ঘোড়ামারা এলাকায়। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ ইয়াসিন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীতে অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি তথ্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন। প্রথমে খুলনা বিভাগ ও পরে রাজশাহী বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থেকেই তিনি অবসর নেন। তিনি বাংলাদেশ বেতারের একজন ‘এ-প্লাস’ গ্রেডের গীতিকার ছিলেন। রম্য লেখক হিসেবেও সুখ্যাতি ছিল। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় কোনো দিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। নাম এল পত্রিকায় ২০০৫ সালের ১৩ জুন ঢাকা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট শিল্পী-কর্মীদের ১৭৭ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকার ৭৬ নম্বর ক্রমিকে আনোয়ারুল আবেদীনের নাম ছিল। এটা দেখার পরে তাঁর স্ত্রী ড. ফরিদা সুলতানা ২০০৫ সালের ৪ জুলাই আনোয়ারুল আবেদীনের নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন। তারও এক যুগ পরে এল এই স্বীকৃতি।
1,573,295
2019-01-05
তিন বছরেও অজানা কোকেনের গন্তব্য
null
গাজী ফিরোজ. চট্টগ্রাম
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573296/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%85%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF
bangladesh
print
1
অপরাধ|চট্টগ্রাম|চট্টগ্রাম বিভাগ|মাদক
• তেলের চালানে কোকেন • ডিবি পুলিশের তদন্তে গন্তব্য অজানা থাকায় র‍্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ• র‌্যাবের তদন্তেও তা বের হয়নি• শুরু হয়নি বিচার • তেলের চালানে কোকেন • ডিবি পুলিশের তদন্তে গন্তব্য অজানা থাকায় র‍্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ• র‌্যাবের তদন্তেও তা বের হয়নি• শুরু হয়নি বিচার চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ হওয়া কোকেনের চালানের গন্তব্য সাড়ে তিন বছরেও জানা যায়নি। চালানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত কি না. র‍্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এখনো শেষ হয়নি তদন্ত। পাশাপাশি একই ঘটনায় করা মাদক মামলার বিচারও শুরু হয়নি। জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছেন আসামি। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন. চালানটির গন্তব্য নির্ধারণ ও জড়িত দেশি–বিদেশি চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে তারা এ ধরনের অপরাধ বারবার করবে। এতে ক্ষতি হবে দেশের। ২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি). মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ চালানটি উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে জাহাজীকরণ করা হয়। পরে তা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে. বাংলাদেশ এর আগে কখনোই বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী ভোজ্যতেল আমদানি করেনি। তা ছাড়া তরল কোকেনকে গুঁড়া বা পাউডার কোকেনে রূপান্তর করার মতো প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে নেই। কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। আসামি করা হয় চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদকে। ঘটনার পাঁচ মাস পর চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ নূর মোহাম্মদকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। চালানের গন্তব্য অজানা. আন্তর্জাতিক চক্র শনাক্ত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ নারাজি আবেদন করলে আদালত র‍্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু র‍্যাবের তদন্তেও চালানটির গন্তব্য বের করা সম্ভব হয়নি। র‍্যাব নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত তা গ্রহণ করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচার শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন. কোকেন জব্দের ঘটনার মাদক মামলা বিচার শুরুর জন্য প্রস্তুত হলেও চোরাচালান আইনের মামলাটি তদন্ত এখনো শেষ করতে পারেনি র‍্যাব। মামলা দুটি হলেও ঘটনা ও সাক্ষী একই। দুটি মামলার বিচার কার্যক্রম একসঙ্গে চললে সময় বাঁচবে। একজন সাক্ষীকে দুবার আসতে হবে না। এতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা যাবে। এ জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দিতে র‍্যাবকে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন. চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক ও চোরাচালান আইনে একই ঘটনায় হওয়া দুটি মামলার বিচারও একসঙ্গে হয়েছিল। পলাতক আসামিরা অধরালন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া এখনো ধরা পড়েননি। আর জামিনে গিয়ে পলাতক হয়েছেন নূর মোহাম্মদ। জামিনে রয়েছেন কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে আজাদ. সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম. সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল আলম ও আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। কারাগারে রয়েছেন প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা ও পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান।
1,573,296
2019-01-05
নিহত ২৪ জনের পরিচয় মেলেনি
null
শেখ সাবিহা আলম. ঢাকা
null
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573294/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF
bangladesh
print
1
অপরাধ|পুলিশ
• জঙ্গিবিরোধী ২১ অভিযান• জঙ্গিবাদে সন্তান নিহত হলেও একঘরে হওয়ার ভয়ে পরিবারগুলো পরিচয় শনাক্ত করতে আসে না • ২০১৬ সালের জুলাই থেকে দুই বছরে ২১ অভিযানে ৮৫ জঙ্গি নিহত• নিহত জঙ্গিদের শুধু সাংগঠনিক নাম জানা গেছে • পরিচয় না পাওয়া মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন • জঙ্গিবিরোধী ২১ অভিযান• জঙ্গিবাদে সন্তান নিহত হলেও একঘরে হওয়ার ভয়ে পরিবারগুলো পরিচয় শনাক্ত করতে আসে না • ২০১৬ সালের জুলাই থেকে দুই বছরে ২১ অভিযানে ৮৫ জঙ্গি নিহত• নিহত জঙ্গিদের শুধু সাংগঠনিক নাম জানা গেছে • পরিচয় না পাওয়া মৃতদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন গুলশানের হোলি আর্টিজানে ২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গি হামলার পর থেকে গত বছরের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ ও র‍্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে ৮৫ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নাম জানা গেলেও তাদের ২৪ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের সবাই আইএস মতাদর্শে বিশ্বাসী নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যৌথ বাহিনীর ২টি. পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটি) ১৪টি এবং র‍্যাবের ৫টি অভিযানে সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিরা নিহত হয়। এর মধ্যে র‍্যাবের অভিযানে নিহত ১৫ জনের পরিচয় এখনো অজানা। অজ্ঞাতনামাদের অন্য ৯ জন নিহত হয়েছে ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর গাজীপুরের নোয়াগাঁওয়ের পাতারটেকে সিটির অভিযানে এবং ২০১৭ সালের ২৪–২৭ মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত যৌথ বাহিনীর অভিযানে। ‘অজ্ঞাতনামা’ থাকার পেছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রথমত. অনেকে পরিবারগুলো একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে সন্তানদের শনাক্ত করতে আসতে চান না। কেউ কেউ গোপনে এসে নমুনা দিয়ে চলে যান। দ্বিতীয়ত. যেসব অভিযানে বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে মৃতদেহগুলো পুড়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি। ফলে অজ্ঞাতনামা হিসেবে লাশগুলো দাফন করা হয়। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান. ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে মিরপুরের বর্ধনবাড়িতে র‍্যাবের অভিযানে আবদুল্লাহর পরিচয় পাওয়া গেলেও সহযোগীদের পরিচয় জানা যায়নি। গত বছরের অক্টোবরে মিরসরাইয়ের অভিযানেও একই কারণে মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন. জঙ্গি হামলায় কেউ নিহত হলে লাশ শনাক্ত করতে প্রথমেই জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মেলে কি না. মিলিয়ে দেখা হয়। ডিএমপির সংবাদ–বিষয়ক পোর্টাল ডিএমপি নিউজে ছবি প্রকাশ করে পরিচয় জানতে চাওয়া হয় এবং নিহত ব্যক্তিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যাদের পরিচয় মেলেনি২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর পুলিশ ও র‍্যাবের পৃথক অভিযানে এক দিনে মারা যায় ১১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও ১ জন। গাজীপুর. টাঙ্গাইল ও ঢাকার আশুলিয়ায় পরিচালিত ওই অভিযানে ৮ জনের পরিচয় এখনো অজানা। গাজীপুরের নোয়াগাঁওয়ে ওই দিন অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম। ‘অপারেশন স্পেট এইট’ নামের ওই অভিযানে নিহত হয় ৭ জন। কাছেই গাজীপুরের হাঁড়িনালে র‍্যাবের অভিযান ‘শরতের তুফান’–এ নিহত হয় আরও ২ জন। এখন পর্যন্ত পাতারটেকে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ১ জনের নাম ফরিদুল ইসলাম ওরফে আকাশ বলে জানা গেছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের কর্মকর্তারা জানান. ফরিদুল নব্য জেএমবির ঢাকা বিভাগের অপারেশন কমান্ডার ছিল। পরে সব মৃতদেহ অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করে কর্তৃপক্ষ। অপারেশন স্পেট এইটের পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিট আশকোনার সূর্যভিলায় অপারেশেন রিপল ২৪ পরিচালনা করে। ২০১৭ সালের ১৫ ও ১৬ মার্চ পুলিশ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অ্যাসল্ট সিক্সটিনে একসঙ্গে দুটি আস্তানায় অভিযান চালায়। ওই অভিযানে নিহত ৫ জনের ৪ জন হলো বান্দরবনের কামাল ও জোবায়দা দম্পতি. তাদের সন্তানও মিরপুরের রাফিদ আল হাসান। পরিচয় পাওয়া যায়নি ১ জনের। অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিনের সূত্র ধরে ৮ দিন পর ২০১৭ সালের ২৫ মার্চ পুলিশ. র‍্যাব ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায় সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলে। ওই অভিযানে নিহত ৪ জনের ১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি বান্দরবানের বাইশারীর মনজিয়ারা। আতিয়া মহলের অভিযানকে কেন্দ্র সিলেটে হত্যা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেওয়ান আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন. ধারণা করা হচ্ছিল মৃতদেহগুলোর একটি নব্য জেএমবি মুসার। মুসার মায়ের ডিএনএ নেওয়া হয়েছিল. কিন্তু মেলেনি। তবে ওই সময় থেকে নিখোঁজ একজন তরুণের মৃতদেহ এখানে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের একটি সূত্র বলছে. ওই অভিযানে নিহত আরও ২ জনের পরিচয় তাঁরা পেয়েছেন। ১ জনের নাম ফাহিম. অন্যজনের নাম খাববাব আল মিশরী। ফাহিমের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি। খাববাবের বাড়ি টাঙ্গাইল. শুধু এটুকুই জানা গেছে। কাছাকাছি সময়ে ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ র‍্যাব সদর দপ্তরের ফোর্সেস ব্যারাকের সামনে এক তরুণ আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। পরদিন আমিরন নামের এক নারী তাঁকে নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। তিনি জানান. ছেলেটির নাম রফিক। তবে যাচাই–বাছাই শেষে দেখা যায়. আত্মঘাতী তরুণটি তাঁর সন্তান নন। একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর র‍্যাব মিরপুরের বর্ধনবাড়িতে ৫৬ ঘণ্টার অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে নিহত হয় ৬ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল্লাহর পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকিদের শনাক্ত করা যায়নি।
1,573,294
2019-01-05
ক্যানসার শনাক্ত হবে ১০ মিনিটে
গবেষক দলে বাংলাদেশের ড. সিনা
কাউসার খান সিডনি (অস্ট্রেলিয়া)
https://www.prothomalo.com/technology/article/1573293/%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87
technology
print
2
ছুটির দিনে
অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক সম্প্রতি এমন একটি পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন. যা দিয়ে রক্তের একটা পরীক্ষা করে সব ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খবরটি দ্য টেলিগ্রাফ. সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক অনেক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট ফর বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ন্যানো টেকনোলজির (এআইবিএন) ক্যানসার শনাক্তের পদ্ধতি উদ্ভাবনের সে খবর বাড়তি মনোযোগ কাড়ল গবেষক দলের সদস্য আবু আলী ইবনে সিনার কথা জেনে। ১২ জন গবেষকের একজন ড. সিনা বাংলাদেশি। চাঁদপুর থেকে ব্রিসবেন বিদেশ–বিভুঁইয়ে বসে বাংলাদেশি কারও সাফল্যের সংবাদ শুনলে ভালো লাগে এবং আনন্দে ভরে যায় মন। সেই আনন্দেই আগ্রহ নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করি তাঁর সঙ্গে। আলাপে আলাপে জানা হয় আবু আলী ইবনে সিনার জীবনকথা। সিনা থাকেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন শহরে। ফ্যাশন ডিজাইনার স্ত্রী সাবিহা সুলতানা এবং ছেলে জাবিরকে নিয়ে তাঁর ছোট সংসার। বাংলাদেশি এই গবেষকের বেড়ে ওঠা চাঁদপুরের বাবুরহাটে। শিক্ষক দম্পতি মো. শহীদুল্লাহ ও সুরাইয়া আক্তারের প্রথম সন্তান তিনি। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছিলেন। তবে সে চাকরিতে মন টেকেনি। সিনা বলছিলেন. ‘গবেষণার কাজের জন্যই শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হতে চাচ্ছিলাম। একসময় সুযোগও পেলাম।’ সেই সুযোগটা ছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন (বায়োকেমিস্ট্রি) বিভাগে। ২০১১ সালে যোগ দেন শিক্ষক হিসেবে। দুই বছর সেখানে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১৩ সালে বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করার সুযোগ পান অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট ফর বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ন্যানো টেকনোলজি থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টারফর পারসোনালাইজড ন্যানো মেডিসিনে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন সিনা। যুক্ত হলেন ক্যানসার গবেষণায়২০১২ সালের কথা। অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট ফর বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ন্যানো টেকনোলজির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন উপপরিচালক অধ্যাপক ম্যাট ট্রাউ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নিলেন। তিনি প্রকল্পগুলো শুরু করেছিলেন ক্যানসার শনাক্তের সহজ পদ্ধতি খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে। যাঁরা পিএইচডি করছিলেন তাঁদেরই যুক্ত করা হয় সেসব প্রকল্পে।২০১৫ সালে এমনই একটি প্রকল্পে কাজের সুযোগ পান আবু আলী ইবনে সিনা। অধ্যাপক ম্যাট ট্রাউয়ের অধীনে গবেষণা প্রকল্পটিতে ড. সিনা. আরেক বাংলাদেশি গবেষক ড. মুহম্মদ জে এ সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন দেশের ১২ জন গবেষক ছিলেন। তবে অধ্যাপক ম্যাট ট্রাউয়ের নেতৃত্বে প্রধানত গবেষক ড. লরা কারেস্কোসা ও ড. সিনা ছিলেন মূল ভূমিকায়। তাঁদের সে গবেষণাতেই উঠে এল ক্যানসার নির্ণয়ের এই নতুন পদ্ধতি।সুফল পাবে বাংলাদেশবর্তমানে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অপেক্ষায় আছে উদ্ভাবনটি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণাগারে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এর সুফল পাওয়া যেতে পারে। সব মিলিয়ে আরও বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে বলে জানালেন সিনা।সফল হলে স্বল্প সময়ে শুধু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই শনাক্ত করা যাবে ক্যানসার। শরীরের যেকোনো অঙ্গের যেকোনো ধরনের ক্যানসারের উপস্থিতির কথা জানা যাবে এই পরীক্ষায়। এই পদ্ধতিতে প্রাথমিক পর্যায়েই যেকোনো ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা যাবে। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসাতেই ক্যানসার নির্মূল সম্ভব হবে। আবু আলী ইবনে সিনা জানালেন. ‘পদ্ধতিটি সহজ ও সাশ্রয়ী। রক্তের ডিএনএ তৈরি হওয়ার পর মাত্র ১০ মিনিটে ক্যানসার শনাক্তকরণ সম্ভব হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে জীবন যেমন বেঁচে যাবে. তেমনি চিকিৎসা ব্যয়ও কমবে। বাংলাদেশের জন্য এই উদ্ভাবনের সুফল ভাগাভাগি করতে আরও কাজ করব আমি।’
1,573,293
2019-01-05
আমার রাঁধতে ভালো লাগে: জাহিদ হাসান
null
হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক. ঢাকা
https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1573290/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8
entertainment
print
2
আলাপন
আজ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক ‘মিস্টার টেনশন’-এর ৭৫ তম পর্ব। আদিবাসী মিজান ও জাকির হোসেনের রচনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। এটি পরিচালনা করেছেন আদিবাসী মিজান। নাটকসহ এই সময়ের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা হলো জাহিদ হাসানের সঙ্গে। আজ রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এনটিভিতে প্রচারিত হবে ধারাবাহিক নাটক ‘মিস্টার টেনশন’-এর ৭৫ তম পর্ব। আদিবাসী মিজান ও জাকির হোসেনের রচনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান। এটি পরিচালনা করেছেন আদিবাসী মিজান। নাটকসহ এই সময়ের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা হলো জাহিদ হাসানের সঙ্গে। ‘মিস্টার টেনশন’–এর ৭৫ তম পর্ব প্রচারিত হতে যাচ্ছে। আপনার কেমন লাগছে বা দর্শকের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? এটা তো আসলে আমি বলতে পারি না। সবাই তো নিজেরটা ভালোই বলবে। তবে আমি বলার চেয়ে দর্শকেরা ‘ভালো’ বলা ভালো। এনটিভির মতো চ্যানেলে একটা নাটক ৭৫ পর্ব পার করছে. এটা নিশ্চয় ভালো হচ্ছে বলেই করছে। আমি মাঝেমধ্যে ছেড়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু পরিচালকসহ সবার আগ্রহে এখনো নাটকটিতে নিয়মিত অভিনয় করছি। আপনাকে এই সময়ে অভিনয়ে খুব কম দেখা যাচ্ছে? ভালো চিত্রনাট্য পাই না। এ কারণে কমিয়ে দিয়েছি। ভালো চিত্রনাট্য না পাওয়ার কারণে কাজটা উপভোগ করছি না। এই বয়সে এসে ওই রকম কমেডি অভিনয় করতে ইচ্ছা করে না। আমাদের এখানে নির্মাণে যত্নের খুব অভাব. পরিকল্পনার অভাব। চ্যানেলের যে দোষ দেব. সেটাও দিতে পারছি না। সব মিলিয়ে আসলে শক্ত নীতিমালা নেই. এটাই সমস্যা। এই ক্ষেত্রে প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবে কি আপনাদের কিছু করার নেই? না। এটা করার সুযোগ আমাদের হাতে নেই। এটা নীতিনির্ধারকদের হাতে। একটা উদাহরণ দিই. আমাদের দেশে নীতিমালা আছে টেলিভিশনে ৭-১০ শতাংশ বিদেশি অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশে এমনও চ্যানেল আছে ৯০ শতাংশ বিদেশি অনুষ্ঠান প্রচার হয়। কিছু করার নেই। কিছুদিন আগে নির্বাচনী প্রচারণায় আপনাকে দেখা গেল। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী? মাত্র তো শপথ নিল। একটু গুছিয়ে নিতে সময় লাগবে। সরকার সব সময় শিল্পীদের পক্ষে থাকবে এবং আমাদের সবার জন্য কাজ করবে. এটাই প্রত্যাশা করি। ভবিষ্যতে কি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আছে? না। আপাতত সে রকম ইচ্ছা নেই। সময় বলে দেবে কী করব। এখন তাহলে কী নিয়ে ব্যস্ততা আপনার? আমি ব্যবসা করার পরিকল্পনা করছি। শুরু করেছি। দেখা যাক। শেষ তিন প্রশ্নআপনি কি রান্না করতে পারেন? খিচুড়ি. গরুর মাংস. ডিমভাজি. হাঁস আমার রাঁধতে ভালো লাগে। এই সময়ের অভিনেত্রীরা আপনাকে খুব পছন্দ করেন। কারণ কী? (হাসি) কারা পছন্দ করেন? জানি না তো। এখনো কোন খাবারটি সামনে পেলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন? সুস্বাদু খাবার হলেই আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
1,573,290
2019-01-05
নিউইয়র্কের বাঙালি নায়ক
null
ইব্রাহীম চৌধুরী নিউইয়র্ক
১৬
https://www.prothomalo.com/we-are/article/1573289/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95
we-are
print
2
ছুটির দিনে
সাইদ আলী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক ঘটনায় সাহসী ভূমিকা দেখিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। নিউইয়র্ক তো বটেই. যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছেও সত্যিকারের নায়ক বনে গেছেন সাইদ আলী। দেশটির মূলধারার সংবাদমাধ্যমও এখন তাঁর প্রশংসা করছে। এই আয়োজনে রইল সাহসী সাইদ আলীর কাহিনি। সাইদ আলী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক ঘটনায় সাহসী ভূমিকা দেখিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। নিউইয়র্ক তো বটেই. যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কাছেও সত্যিকারের নায়ক বনে গেছেন সাইদ আলী। দেশটির মূলধারার সংবাদমাধ্যমও এখন তাঁর প্রশংসা করছে। এই আয়োজনে রইল সাহসী সাইদ আলীর কাহিনি। একজন পুলিশ সদস্যের দিকে তেড়ে আসছেন পাঁচজন মদ্যপ বলবান মানুষ। মারমুখী মানুষদের নিবৃত্ত করতে কারাতে ভঙ্গিতে হাতের লাঠি চালিয়ে যাচ্ছেন সেই পুলিশ সদস্য। এতে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন লোকগুলো। হামলে পড়ার চেষ্টা করলেন। প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্য লাথি দিয়ে ফেলে দিলেন একজনকে। তারপর আরও একজনকে। এভাবে একে একে ধরাশায়ী করে ফেলেন পাঁচ আক্রমণকারীকে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও চিত্রের দৃশ্য এটি। আচমকা দেখলে সিনেমার কোনো বিশেষ মুহূর্তের দৃশ্য ভেবে অনেকে ভুল করতে পারেন। তবে তা সিনেমার কোনো দৃশ্য নয়. নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের ইস্ট ব্রডওয়ের পাতাল রেলস্টেশনে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা। আর যে মানুষটা নায়কোচিত ভঙ্গিতে মারমুখী ব্যক্তিদের ধরাশায়ী করলেন. তিনি সাইদ আলী৷ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান পুলিশ সদস্য। দেশটির নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তা। পুলিশের একজন কর্মকর্তার দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে আসার কারণে চাইলে গুলি ছুড়তে পারতেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটে। অনেক প্রাণহানির অভিযোগও ওঠে। কিন্তু নিজের জীবন বিপন্ন হতে পারে ভেবেও সে পথে হাঁটেননি সেই সদস্য। ঘটনার সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সহকর্মীদের তাৎক্ষণিক বার্তা পাঠিয়ে নিজেই সামাল দেন পরিস্থিতির। আর সে কারণেই বাহবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষসহ কর্তাব্যক্তিদের। একা ছিলেন সাইদ আলী গত ২৩ ডিসেম্বর. রোববার। নিউইয়র্ক শহরে তখন রাত। সাইদ আলী একা দায়িত্ব পালন করছিলেন ম্যানহাটনের ইস্ট ব্রডওয়ের সাবওয়ে (পাতাল রেল) স্টেশনে একসময় জানলেন. একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করছেন পাঁচজন মদ্যপ। ছুটে এলেন সাইদ আলী। মাতালদের কাছে যেতেই তেড়ে এলেন তাঁরা। কারাতে ভঙ্গিতে আক্রমণের চেষ্টা করলেন। মাতালদের ওপর হাতের লাঠি উঁচিয়ে চিৎকার করে পিছিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতে থাকেন আলী৷ পেছাতে পেছাতে বলতে থাকেন. ‘আমি তোমাদের আঘাত করতে চাই না. থামো!’ কিন্তু তাঁরা থামলেন না। সাইদ আলী সর্বোচ্চ পেশাদারির মাধ্যমে সামাল দিলেন মাতালদের। সেদিনের ঘটনা নিয়ে কথা বলতেই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। প্রথা মেনে সহকর্মীদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন সাইদ আলী। সেখানে সেদিনের ঘটনা খোলাসা করে বললেন। বললেন কেন গুলি না চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে. ‘জীবন অনেক মূল্যবান। তাই কাউকে সর্বোচ্চ আঘাত করার আগে ক্ষণিকের জন্য হলেও দ্বিতীয়বার চিন্তা করা উচিত। আমি সেনাবাহিনী আর পুলিশের প্রশিক্ষণ থেকেই এ শিক্ষা পেয়েছি।’ প্রাপ্ত শিক্ষার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন সাইদ আলী। তাই তো সেদিনের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ করে তাঁর বীরত্বের কাহিনি। ছড়িয়ে পড়ল ইন্টারনেটেপ্ল্যাটফর্মে উপস্থিত কোনো এক যাত্রী দৃশ্যটি ভিডিও করেছিলেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন সেই ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিও। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। সবাই সাইদ আলীর নায়কোচিত ভূমিকার প্রশংসা করে শেয়ার করতে থাকেন। গত ২৪ ডিসেম্বর মাডি নামে এক ব্যক্তির টুইটার প্রোফাইল থেকে শেয়ার করা ভিডিওটিই ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেখেছেন প্রায় ৫১ লাখ মানুষ। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ দেখলেও তা জানতেনই না সাইদ আলী। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন. ‘আমি জানতাম না মুহূর্তটি কেউ ভিডিও করেছে। সে সময় তো দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলাম। পরদিন সকালে বিভিন্নজনের ফোনে জানতে পারি৷’ জেনে বিস্মিত হয়েছিলেন তিনি। হওয়ারই কথা. ততক্ষণে তিনি যে রীতিমতো নায়ক বনে গেছেন।|এরপর সাইদ আলীকে নিয়ে এতটাই আলোড়ন হয় যে ২৬ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত পত্রিকা দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দিয়ে খবর প্রচার করে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল। সম্মানিত হলেন সাইদ সাহসিকতার প্রশংসা সাধারণ মানুষ তো করেছেই। সেই সঙ্গে নিউইয়র্ক শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও সাইদ আলীকে ভাসিয়েছেন প্রশংসা বাক্যে। যেমন নিজের টুইটার প্রোফাইল থেকে টুইট করেছেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। নগরীর ব্রুকলিনের কাউন্সিলম্যান চেইম এম ডাচ তো নিজ হাতে সাইদ আলীর হাতে তুলে দিয়েছেন সাহসিকতার বিশেষ সনদ। ‘অফিসার আলী মহৎ কাজ করেছেন’ উল্লেখ করে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) ট্রানজিট ব্যুরোর সহকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভিনসেন্ট কোগান বিবৃতি দিয়েছেন। নিউইয়র্কে পুলিশের প্যাট্রলম্যান বেনোভেল্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্যাট লিঞ্চ বলেছেন. ‘অফিসার সাইদ আলী তাঁর চরম পেশাদারি দেখিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ঘটনা ভিন্ন খাতে যেতে পারত। রক্ত ঝরতে পারত। জীবনহানিও ঘটতে পারত।’ এ ছাড়া নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারদের সংগঠন—বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সাইদ আলীর এই সাহসিকতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। সংগঠনের মিডিয়া লিয়াজোঁ কর্মকর্তা জামিল সারোয়ার বললেন. ‘সাইদ আলীর জন্য আমরা সত্যিই গর্বিত। বাংলাদেশিরা নিউইয়র্ক পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।’ ৩৬ বছর বয়সী সাইদ আলীর জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে । তিন বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন আলী। বড় হয়েছেন ব্রুকলিনে। পড়াশোনা শেষে কর্মজীবন শুরু করেন মার্কিন সেনাবাহিনীতে। সেখান থেকে ছয় বছর আগে যোগ দিয়েছেন নিউইয়র্কের পুলিশ বাহিনীতে। পুলিশ সদস্য হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন সাইদ আলী। আলী সেদিন কষ্ট পেয়েছিলেন ২০১৭ সালের ঘটনা। মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় তুরস্কের ইস্তাম্বুল গিয়েছিলেন সাইদ আলী। ইস্তাম্বুল থেকে উড়োজাহাজে নামেন যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানেই তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয়। সাবেক মার্কিন সেনাসদস্য পরিচয় দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড ইমিগ্রেশন বিভাগের দীর্ঘ তল্লাশির মুখে পড়েন তিনি। সে অভিজ্ঞতা আলীর কাছে ছিল অপমানের। ২০১৭ সালের ১৫ মে নিউইয়র্ক টাইমস আলীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিল। সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন. ‘আমি মনে করি আমার ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’ ক্ষুব্ধ সাইদ আলী প্রশ্ন রেখেছিলেন. ‘যারা বিমানবন্দর দিয়ে আসবে. তাদের মধ্যে কারও নামে আলী থাকলেই কি সে জঙ্গি সন্দেহের তালিকায় থাকবে?’ সময় কত দ্রুত বদলে যায়। মাত্র দেড় বছরের মাথায় সেই সাইদ আলী বীরত্বের সম্মান পেলেন। তাঁর বীরত্ব আর পেশাদারির সংবাদ প্রচার হতে থাকল সঙ্গে। যোগ্য আমেরিকানের কাজ করেছেন বলে বাহবা পেলেন অনেকের। তবে এত কিছুর সঙ্গে ঠিকই উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম। হবেই তো. বাংলাদেশেই যে সাহসী সাইদ আলীর শিকড়।
1,573,289
2019-01-05
গ্রামটির একটাই ‘দোষ’. তাই এখন বিচ্ছিন্ন
null
নিজস্ব প্রতিবেদক. রাজশাহী
৩৪
https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1573288/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E2%80%98%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E2%80%99-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8
bangladesh
print
2
নির্বাচন|রাজশাহী|একাদশ সংসদ নির্বাচন|বিএনপি|আওয়ামী লীগ
• তানোরের কলমা• ধানের শীষে ভোট বেশি পড়েছে • তাই বাস ঢুকছে না• ডিশ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে • তানোরের কলমা• ধানের শীষে ভোট বেশি পড়েছে • তাই বাস ঢুকছে না• ডিশ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে গ্রামটির ভেতরে দিয়ে যাত্রীবাহী বাস চলত। ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনের পর সেই গ্রামে আর বাস ঢুকছে না। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে টেলিভিশনের স্যাটেলাইট সংযোগ। অটোরিকশার চালকদের গ্রামের বাইরে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বাইরের গাড়িগুলোও গ্রামের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করছে না। রাজশাহীর তানোরের এই গ্রামটির নাম কলমা। এটি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের একটি গ্রাম। রাজশাহী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামের ভোটাররা কলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী আমিনুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ২৪৯ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী পেয়েছেন ৬৫৩ ভোট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের বাসিন্দারা বলেন. একটা ‘দোষে’ তাঁদের গ্রাম এখন বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন। দোষটা হলো. নৌকার চেয়ে ধানের শীষে ভোট বেশি পড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে কলমা গ্রামে গিয়ে বিএনপির কোনো নেতাকে পাওয়া না গেলেও সমর্থকেরা ছিলেন। প্রকাশ্যে তাঁরা কিছু বলতে চাননি। তাঁদের ভাষায়. বাস বন্ধ. ডিশ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি গ্রামের গভীর নলকূপগুলো আওয়ামী লীগের লোকজন দখলে নিয়েছেন। এবার হয়তো তাঁদের সেচের পানিও দেওয়া হবে না। গ্রাম থেকে বের হতে হলে পশ্চিমে বিল্লি গ্রাম এবং পূর্বে দরগাডাঙ্গা গ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কোনো দিক দিয়েই গ্রামের লোকজন আর বের হতে পারছে না। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন. ‘কলমা গ্রামের বিষয়টি আমিও শুনেছি। কিন্তু আমার কিছু করার নেই।’ এক গ্রামবাসী বলেন. এখন আর দলমত দেখা হচ্ছে না। যাকে পাচ্ছে তাকেই মারছে. হুমকি দিচ্ছে। গত বুধবার গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক দুই শিক্ষক একটি মোটরসাইকেলে করে কলেজে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুজনকেই মারধর করা হয়েছে। গ্রামের এক অটোরিকশাচালক বলেন. আওয়ামী লীগের লোকজন তাঁকে দরগাডাঙ্গা বাজার থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাইরে যেতে পারছেন না। ওই চালক যখন এ কথা বলছিলেন. তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলমা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ. ভোটের আগের দিন কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার লোকজন নিয়ে কলমা বাজারে বসে ছিলেন। বিএনপির লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা–কর্মী আহত হন। গ্রামের বিএনপি কর্মীরা এ কারণে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়েছেন। তবে কয়েক দিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে। আর দুই শিক্ষককে মারার ঘটনাটি ভুল–বোঝাবুঝি। কলমা বাজারে গিয়ে কয়েকটি মাত্র দোকান খোলা পাওয়া যায়। একটি রেস্তোরাঁও খোলা ছিল। মালিক আবদুল মোত্তালেব বলেন. আগে যত লোক বাজারে আসত. নির্বাচনের পরে তিন ভাগের এক ভাগ লোকও আসছে না। বেচাকেনা একেবারে মন্দা। পাশের দরগাডাঙ্গা বাজারে কথা হয় একজন ভটভটিচালকের সঙ্গে। তিনি বলেন. আওয়ামী লীগের লোকজন তাঁদের কলমা গ্রামের ভেতর দিয়ে যেতে নিষেধ করেছেন। রাজশাহী থেকে তানোরের বিল্লি সড়কে চলাচলকারী বিসমিল্লাহ পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন. ভোটের পর থেকে কলমা গ্রামের ভেতর দিয়ে বাস চলছে না। কেন চলছে না. জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কোনো উত্তর দিতে চাননি। একপর্যায়ে বলেন. ‘ওখানে মারামারি হয়েছে. এ জন্য বাস আর ওদিক দিয়ে যাচ্ছে না।’ এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করা হয় তানোর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দারের সঙ্গে। তাঁরা ফোন ধরেননি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী মো. গোলাম রাব্বী প্রথম আলোকে বলেন. তিনি বিষয়টি জানেন না। কেউ তাঁকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
1,573,288