instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 230
19.6k
| output
stringlengths 40
405
|
---|---|---|
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | দুটি দুর্ঘটনার পর ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বন্ধ রয়েছে। দুটো বিমান দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরেও বোয়িং কোম্পানি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি অব্যাহত রেখেছিল। প্রতিষ্ঠানটি এখন জানিয়েছে আগামী জানুয়ারি মাসে তারা উৎপাদন বন্ধ রাখবে। ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩০০'র বেশি যাত্রী নিহত হয়। বোয়িং আশা করেছিল যে চলতি বছরের শেষের দিকে এই বিমান আবারো উড্ডয়ন করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এটা পরিষ্কার করে বলেছিল যে এতো তাড়াতাড়ি ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমানকে পুনরায় সনদ দেয়া হবে না। সিয়াটলে অবস্থিত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ রপ্তানিকারক। বোয়িং কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানকে নিরাপদে আকাশে ফিরেয়ে আনার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।" গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে বলা হয়েছিল যে ইথিওপিয়ায় প্রথম দুর্ঘটনার পর আরো একটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির এক বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ মডেল বিমানের ডিজাইনে যদি পরিবর্তন না করা হয় তাহলে এর মেয়াদকালে এক ডজনেরও বেশি বিমান বিধ্বস্ত হতে পারে। কিন্তু তারপরেও ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ইথিওপিয়ায় দ্বিতীয় দুর্ঘটনা ঘটার আগে পর্যন্ত ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানের উড্ডয়ন বন্ধ করা হয়নি। ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের বিমান তৈরি বন্ধ রাখার কারণে এরই মধ্যে সংস্থাটি নয় বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত সোমবার বোয়িং-এর শেয়ারের দাম ৪% পর্যন্ত পড়ে গেছে। বোয়িং বলছে, তাদের কাছে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের ৪০০ উড়োজাহাজ জমা রয়েছে। এসব উড়োজাহাজ ক্রেতাদের কাছে তুলে দেবার বিষয়টিতে তারা বেশি মনোযোগ দেবে। বিশ্বের বহু এয়ারলাইন্স ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজের জন্য বোয়িং-এর কাছে অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু সেগুলো ক্রেতাদের কাছে সেসব উড়োজাহাজ তুলে দেয়া হয়নি, কারণ বোয়িং-এর প্রকৌশলীরা ম্যাক্স ৭৩৭ উড়োজাহাজের সফটওয়্যার ঠিক করছেন। আরো পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড: নজর শুধু গার্মেন্টসে, বাকি সব উপেক্ষিত বিক্ষোভের জন্য মুসলিমদের প্রতি ইঙ্গিত নরেন্দ্র মোদির পিজ্জা খাবার পর ক্যালোরি কমাতে কতক্ষণ হাঁটতে হবে? নাগরিকত্ব নিয়ে শঙ্কিত আসামের যেসব হিন্দু-মুসলিম | Boeing will temporarily halt production of its troubled 737 Max airliner in January, the manufacturer said. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | তিনি জীবনের সাতটি দশক কাটিয়েছেন তাঁর স্ত্রী, যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছায়ায়। তবে তাঁর ছিল এমন এক ব্যক্তিত্বের ছটা, যে কারণে তাকে কেবল একজন স্বামী বলে বর্ণনা করা ঠিক হবে না। ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের পেছনের এই লোকটি কে, এবং কীভাবে তিনি রানিকে বিয়ে করেছিলেন? স্বামী, কিন্তু রাজা কখনোই নন প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো: ডিউক, যিনি প্রিন্স ফিলিপ নামেও পরিচিত ছিলেন, কখনোই আসলে রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারের লাইনে ছিলেন না। তাঁর বড় ছেলেই রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী। প্রিন্স ফিলিপ কখনোই রাজার উপাধি ধারণ করেন নি। এর কারণ, যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, একজন নারী যদি রাজাকে বিয়ে করেন, তিনি আলংকারিকভাবে রানি উপাধি পান, কিন্তু একজন পুরুষ যখন সিংহাসনে থাকা রানিকে বিয়ে করেন, তিনি কখনো রাজার উপাধি ব্যবহার করতে পারেন না। যিনি সিংহাসনে আসীন সত্যিকারের রাজা, এই উপাধি কেবল তার। রানি এবং প্রিন্স ফিলিপের চার সন্তান: প্রিন্স চার্লস (৭২), প্রিন্সেস অ্যান (৭০), প্রিন্স এ্যান্ড্রু (৬১) এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড (৫৭)। এই চারজন যখন তরুণ ছিলেন, তখন প্রিন্স ফিলিপের ইচ্ছেটাই বেশিরভাগ সময় প্রাধান্য পেত, যেটা তারা নিজেরাই বলেছেন। রাজপরিবারের জীবনীকার ইংগ্রিড সেওয়ার্ড প্রিন্স এ্যান্ড্রুকে উদ্ধৃত করে বলেন, তাদের শৈশবে তারা দরদ শিখেছেন রানির কাছ থেকে, আর দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা শিখেছেন প্রিন্স ফিলিপের কাছ থেকে। তবে প্রিন্স এ্যান্ড্রু একথাও মনে করতে পারেন, কিভাবে তাদের বাবা তাদের ঘুম পাড়ানোর আগে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলতেন, অথবা বাচ্চারা যখন রুডইয়ার্ড কিপলিং এর 'জাস্ট সো স্টোরিজ' পড়তো, সেটা শুনতেন। যে দীর্ঘজীবন তিনি পেয়েছিলেন, সেই সময়কালে তিনি তার আট নাতি-নাতনিকে বেড়ে উঠতে দেখেছেন, দশ জন প্রপৌত্র-প্রপৌত্রীর জন্ম দেখেছেন। কোথায় তার জীবন শুরু হয়েছিল? প্রিন্স ফিলিপের জন্ম ১৯২২ সালের ১০ই জানুয়ারী গ্রিসের এক দ্বীপ কর্ফুতে। তিনি ছিলেন গ্রীসের প্রিন্স এ্যান্ড্রু এবং ব্যাটেনবার্গের প্রিন্সেস এলিসের কনিষ্ঠতম সন্তান এবং একমাত্র পুত্র। বাবা-মায়ের দিকের এই বংশধারার ফলে তিনি ছিলেন একইসঙ্গে গ্রিস এবং ডেনমার্কের রাজকুমার। কিন্তু এর পরের বছরেই গ্রিসে এক অভ্যুত্থানের পর তাদের পরিবার সেদেশ থেকে বিতাড়িত হয়। গ্রিস থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর প্রিন্সেস অ্যালিসের সঙ্গে শিশু প্রিন্স ফিলিপ একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ তাদের নিরাপদে ইতালি নিয়ে যায়। ফল রাখার এক বাক্সের মধ্যে তৈরি করা বিছানায় বহন করা হয় শিশু ফিলিপকে। কীভাবে তিনি বেড়ে উঠেছেন? ফিলিপের শৈশব ছিল কিছুটা ছন্নছাড়া, একের পর এক বিয়োগান্তক ঘটনার পরিণামে। ১৯৩০ সালে, যখন তার বয়স মাত্র ৮ বছর, তখন তার মাকে মানসিক রোগীদের এক চিকিৎসা কেন্দ্রে রাখা হয়, কারণ তার একের পর এক নার্ভাস ব্রেকডাউন হচ্ছিল। এর পরবর্তী বছরগুলোতে ফিলিপ তার বাবা-মাকে কমই দেখেছেন। তার বাবা এক প্রেমিকাকে নিয়ে চলে যান ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরাতে। তাঁর মায়ের দিকের আত্মীয়রা এসময় ফিলিপের লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। পরে তিনি তাদের মাউন্টব্যাটেন নামই যুক্ত করেন নিজের নামের শেষে। ব্যাটেনবার্গ নামটিই ইংরেজিতে হয়ে যায় মাউন্টব্যাটেন। তার কৈশোর কেটেছে স্কটল্যাণ্ডের এক বোর্ডিং স্কুলে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান শিক্ষক ছিলেন ইহুদী শিক্ষাব্রতী কার্ট হান। নাৎসীদের নিন্দা করায় জার্মানি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই স্কুলটি ফিলিপের জীবনকে একটা ছাঁচের মধ্যে নিয়ে আসলো, তাকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করলো। স্কুলের নিয়মকানুন ছিল বেশ কড়া। সকালে ঘুম থেকে উঠতে হতো বেশ তাড়াতাড়ি এবং উঠেই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় স্নান করতে হতো। এরপর দৌড়ের মতো নানা রকম শরীরচর্চা। প্রধান শিক্ষক কার্ট হানের ধারণা ছিল, বয়ঃসন্ধিকালের "বিষাক্ত আবেগ" ঠেকাতে এটা খুব প্রয়োজন। স্কটল্যাণ্ডের যে বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করেছেন প্রিন্স ফিলিপ ১৯৩৭ সালে প্রিন্স ফিলিপের চার বোনের একজন, সিসিল এক বিমান দুর্ঘটনায় তার জার্মান স্বামী, শাশুড়ি এবং দুই সন্তান সহ মারা যান। সিসিল তার কিছু আগে নাৎসী পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন, যে দলটি পুরো জার্মান রাষ্ট্র পুরোপুরি তাদের কব্জায় নিয়ে গেছে। ফিলিপের বয়স তখন ১৬ বছর। ডার্মস্ট্যাড শহরের রাস্তা দিয়ে তার বোনের কফিনের পেছনে যখন তিনি হাঁটছিলেন, তখন দুপাশের জনতা 'হেইল হিটলার' স্যালুট দিচ্ছিল। প্রিন্স ফিলিপ পরে এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন, তখন আসলে এটাই ঘটেছিল। "আমাদের পরিবার ভেঙে গেছে, আমার মা ছিলেন অসুস্থ, আমার বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে, এবং আমার বাবা তখন ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে। আমাকে এই সবকিছু মেনে নিতে হচ্ছিল।" ফিলিপের সঙ্গে রানির প্রণয় হলো কিভাবে? প্রিন্স ফিলিপ যখন স্কুল ছাড়লেন, তখন ব্রিটেনের সঙ্গে জার্মানির যুদ্ধ শুরু হওয়ার উপক্রম। তিনি ডার্টমুথের রয়্যাল নেভাল কলেজে যোগ দিলেন। সেখানে তিনি তার ক্লাসের সেরা ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করলেন। ১৯৩৯ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ যখন সেখানে এক সরকারি সফরে গেলেন, তখন প্রিন্স ফিলিপের ওপর দায়িত্ব পড়লো রাজার দুই মেয়ে, প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্সেস মার্গারেটের দেখাশোনা করার। তাদের গভর্নেস মেরিয়ন ক্রফোর্ড পরে তার স্মৃতিচারণে বলেছেন, তখন প্রিন্স ফিলিপ নিজেকে বেশ একটু জাহির করছিলেন। ১৩ বছর বয়সী প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে তিনি বেশ ভালো ছাপ রাখতে সক্ষম হন। গর্ডনস্টাউন স্কুলে প্রিন্স ফিলিপের এক বিরল ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রিন্স ফিলিপ বেশ কৃতিত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। তিনি ভারত মহাসাগরে প্রথম বারের মতো লড়াই প্রত্যক্ষ করেন। ১৯৪২ সালের অক্টোবরে তার বয়স যখন মাত্র ২১ বছর, তখন তিনি রাজকীয় নৌবাহিনীর কনিষ্ঠতম এক ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট। কিশোরী রাজকুমারী এলিজাবেথ এবং নৌবাহিনীর অফিসার ফিলিপের মধ্যে পত্র-যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৩ সালের ক্রিসমাসের সময়টা প্রিন্স ফিলিপ রাজপরিবারের সঙ্গে কাটান। এসময় রাজকুমারী এলিজাবেথের টেবিলে শোভা পাচ্ছিল প্রিন্স ফিলিপের ইউনিফর্ম পরা ছবি। এর মাধ্যমে যেন তিনি তার মনের পছন্দ তুলে ধরছিলেন। কিন্তু রাজপরিবারের অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল। অনেকে অবজ্ঞাভরে বলছিল, "প্রিন্স ফিলিপ বেশ রুক্ষ, ব্যবহার জানে না, অশিক্ষিত এবং সে স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে না।" তবে প্রিন্স ফিলিপের জীবনীকার ফিলিপ এইডের মতে, ১৯৪৬ সালে যেসব চিঠি প্রিন্স ফিলিপ লেখেন, তাতে একজন উৎসাহী তরুণ যেন জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছেন এমন ধারণাই পাওয়া যায়। তিনি তার ভাবী শাশুড়িকে লিখেছিলেন, "আমি জানি, আমার জীবনে ভালো যত কিছু ঘটেছে, তার সবকিছুর উপযুক্ত আমি নই। যুদ্ধ থেকে বেঁচে এসে বিজয় দেখা, বিশ্রামের সুযোগ পাওয়া এবং নিজেকে নতুন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া, এরপর পুরোপুরি প্রেমে পড়া- এতকিছুর পর নিজের ব্যক্তিগত এবং বিশ্বের তাবৎ সমস্যাকে একেবারেই ক্ষুদ্র মনে হয়।" ১৯৪৭ সালে বিয়ের আগে বাগদানের পর বাকিংহাম প্রাসাদের বাইরে রানি এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ রাজা জর্জ তার মেয়ের সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের বিয়ের অনুমতি দিলেন। কিন্তু এজন্যে প্রিন্স ফিলিপকে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব নিতে হলো, তার বিদেশি খেতাব বর্জন করতে হলো এবং চার্চ অব ইংল্যান্ডের অনুসারী হতে হলো। ১৯৪৭ সালের ২০শে নভেম্বর, তাদের বিয়ের দিনে, তাকে ডিউক অব এডিনবারা খেতাব দেয়া হলো। বাকী জীবন তিনি এই নামেই পরিচিত হয়েছেন। বিয়ের সময় তার বয়স ছিল ২৬, তার স্ত্রীর বয়স ২১। এই দম্পতির কাঁধে রাজকীয় দায়িত্ব এসে পড়ার আগে তারা মাত্র চার বছরের কিছু বেশি সময় পেয়েছিলেন। ততদিনে তাদের দুটি সন্তান হয়েছে। ১৯৫২ সালে কেনিয়ায় তারা যখন এক শিকার অভিযানে ছিলেন, তখন খবর এসে পৌঁছালো রাজা ষষ্ঠ জর্জ, এলিজাবেথের পিতা, ৫৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। এই মুহূর্তটি, যখন ডিউক অব এডিনবারা উপলব্ধি করলেন যে, তার স্ত্রী এখন রানি হতে যাচ্ছেন, তার স্মৃতিচারণ করেছেন ডিউকের বন্ধু কমান্ডার মাইকেল পার্কার। "তাকে দেখে মনে হচ্ছিল তার মাথার ওপর অর্ধেক পৃথিবী ভেঙ্গে পড়েছে। জীবনে আর কোন মানুষের জন্য আমার জীবনে আর এতটা করুণা হয়নি। তিনি বেশ জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিলেন। তিনি স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছিলেন, তাদের যে সরল সুখী দাম্পত্য জীবনের বুঝি এখানেই শেষ।" প্রিন্স ফিলিপ নৌবাহিনীতে আরও উচ্চপদে যাওয়ার যেসব আকাঙ্ক্ষা লালন করছিলেন, সেগুলো বাদ দিতে হলো। নতুন রানি এলিজাবেথ এখন তার স্বামীকে সারাক্ষণ তার পাশে-পাশে চান। শিশুপুত্র চার্লস এবং কন্য অ্যানের সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ, ১৯৫০ সালে। ডিউক অব এডিনবারাকে এখন থেকে রানির সঙ্গী বলে ঘোষণা করা হলো। তার প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে তার স্ত্রীকে সব কাজে সহযোগিতা-সমর্থন দেয়া। তবে প্রিন্স ফিলিপ চেয়েছিলেন রাজপরিবার তার নামের শেষাংশ, মাউন্টব্যাটেন ব্যবহার করুক। ১৯৫০ এর দশকে এটা নিয়ে বেশ দীর্ঘ বিতর্ক চলে। কিন্তু রানি এলিজাবেথ তার হাউস অব উইন্ডসরের নামই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। প্রিন্স ফিলিপ বেশ ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলেন, "এই দেশে আমিই একমাত্র ব্যক্তি, নিজের ছেলে-মেয়েদেরকে নিজের নাম দেয়ার অধিকার যার নেই। আমি যেন একটা অ্যামিবা।" রাজপ্রাসাদে তার জন্য যে সীমিত ভূমিকা নির্ধারিত ছিল, তিনি সেটার মধ্যে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাকিংহ্যাম প্যালেসের যে আড়ষ্ট পরিবেশ, সেখানে তিনি নতুন বাতাস সঞ্চারের জন্য ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রিন্স ফিলিপ রাজপরিবারকে কিভাবে বদলে দিয়েছেন? গ্রিস থেকে যে তাদের পুরো পরিবারকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, সেটি প্রিন্স ফিলিপ কখনো ভুলতে পারেন নি। তিনি বিশ্বাস করতেন, রাজতন্ত্রকে টিকে থাকতে হলে ক্রমাগত খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তিনি এমন কিছু মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করলেন, যেখানে রানি সমাজের বিভিন্ন পটভূমির মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা রাজভৃত্যদের মাথার চুল রঙ করার রীতি তিনি বন্ধ করলেন। এবং তিনি যখন জানতে পারলেন যে, রাজপ্রাসাদে কেবল রাজপরিবারের সদস্যদের রান্নার জন্য দ্বিতীয় একটি রান্নাঘর চালু আছে, সেটি তিনি বন্ধ করে দিলেন। বাকিংহাম প্রাসাদে ডিনারের আয়োজন এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন ছিল আরও ব্যক্তিগত এবং এতে নানা ধরণের গ্যাজেটের প্রতি তার শিশুসুলভ আগ্রহেরই প্রতিফলন ছিল। অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে ১৯৪৯ সালে যখন তারা ক্লারেন্স হাউসে থাকতে আসেন, তখন তিনি সেখানে এমন অনেক যন্ত্রপাতি বসিয়েছিলেন যাতে শ্রম বাঁচবে। এর মধ্যে ছিল এমন একটি যন্ত্র, যেটি লাগানো হয়েছিল তার কাপড়ের আলমারিতে। এই যন্ত্রের বোতাম টেপার সঙ্গে সঙ্গে আলমারি থেকে একটা স্যুট বেরিয়ে আসবে। ১৯৬৯ সালে 'রয়্যাল ফ্যামিলি' নামে এক যুগান্তকারী টেলিভিশন ডকুমেন্টারি বেশ সাড়া ফেলেছিল। ডিউক এই টিভি ডকুমেন্টারির কাজে সহায়তা করেন। এতে দেখা গিয়েছিল, রানি তার ঘোড়াকে গাজর খাওয়াচ্ছেন, টিভি দেখছেন এবং বালমোরাল প্রাসাদের বারবিবিকিউ পার্টিতে সালাদ নিয়ে আলাপ করছেন, আর পাশে প্রিন্সেস অ্যান সসেজ রান্না করছেন। বাকিংহাম প্রাসাদে প্রিন্স ফিলিপ ইন্টারকম বসান, যাতে করে তার হাতে লেখা চিঠি নিয়ে রাজভৃত্যদের বারে বারে রানির কাছে দৌড়াতে না হয়। প্রিন্স ফিলিপ তার নিজের ব্যাগ নিজেই বহন করতেন এবং নিজের রুমে নিজের ব্রেকফাস্ট নিজেই বানাতেন। সেখানে একটি ইলেকট্রিক ফ্রাইং প্যান ছিল। কিন্তু ঘরে গন্ধ হচ্ছে বলে রানি আপত্তি করার পর সেটা তাকে বন্ধ করতে হয়। 'রয়্যাল ফ্যামিলি' ডকুমেন্টারির একটি দৃশ্য। এটি তৈরিতে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ তিনি সময় কাটাতেন কীভাবে? ব্রিটিশ ইতিহাসে প্রিন্স ফিলিপ হচ্ছেন কোন রানির সবচেয়ে দীর্ঘসময়ের সঙ্গী। তিনি মোট ২২ হাজার ১৯১টি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি যখন ২০১৭ সালে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অবসরে গেলেন, তখন তিনি ৭৮০টির বেশি সংস্থা বা সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট বা সদস্য। রানি যখন কমনওয়েলথের কোন দেশ বা অন্য কোথাও রাষ্ট্রীয় সফরে যেতেন, তাকে সাথে যেতে হতো। তিনি ১৪৩টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি ফরাসী এবং জার্মান, এই দুটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তবে তার সবচেয়ে বড় উত্তরাধিকার হিসেবে থেকে যাবে 'ডিউক অব এডিনবারা' পুরস্কার। তার সাবেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুর্ট হানের তাগিদে তিনি ১৯৫৬ সালে এই এটি চালু করেন। ১৪ হতে ২৫ বছর বয়সীরা স্বেচ্ছা-সেবামূলক কাজ, শারীরিক দক্ষতা অর্জন এবং পর্বতারোহণ বা পালতোলা নৌকায় অভিযানে গিয়ে এই পুরস্কার পেতে পারে। ২০১৬ সালে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিশ্বের ১৩০টি দেশের ১৩ লাখ তরুণ-তরুণী। অবসর সময়ে তিনি খেলাধুলা করতেন, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ। তিনি তার স্কুল গর্ডনস্টাউনে পালতোলা নৌকা চালাতে শেখেন এবং যুক্তরাজ্যের আইল অব ওয়াইটে যে রেগাটা হয়, সেটিতে নিয়মিত অংশ নিতেন। তিনি ঘোড়ার শকট চালাতে পছন্দ করতেন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি ছিলেন যুক্তরাজ্যের সেরা চার জন পোলো খেলোয়াড়ের একজন। তিনি পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনের পক্ষেও কাজ করেছেন। ১৯৬১ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড-লাইফ ফান্ডের (ইউকে) প্রেসিডেন্ট হন। তবে সেবছরই ভারত সফরে গিয়ে একটি শিকার করার বাঘের সঙ্গে তোলা তার ছবি ফাঁস হওয়ার পর তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। জয়পুরের মহারাজা এবং মহারানির সঙ্গে রানিএলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ। ১৯৬১ সালে এই বাঘ শিকার নিয়ে সমালোচিত হন তিনি। তার নিজের এবং স্ত্রীর দৃষ্টিতে তিনি: ব্রিটিশ জীবনে তার অবদান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর অকপটে তিনি জবাব দিয়েছিলেন: "আমার যা সেরা, সেটাই আমি করার চেষ্টা করেছি। অনেকে মনে করেন, যার করেছি, ঠিকই করেছি। অনেকে তা মনে করে না। আপনি কী করতে পারেন? আমি যেভাবে কাজ করি, সেটা তো আমি বদলাতে পারবো না। এটাই আমার স্টাইল।" তবে প্রিন্স ফিলিপ বার বার বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন তার খোলামেলা মন্তব্য বা অসংবেদনশীল বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে। একবার ১৯৮৬ সালে চীন সফরে গিয়ে তিনি সেখানে একদল ব্রিটিশ ছাত্রকে বলেন, "এখানে বেশিদিন থাকলে তোমাদেরও কিন্তু চেরা চোখ হয়ে যাবে।" সমালোচকরা মনে করেন তিনি বেশি বেফাঁস কথা বলেন আর তিনি একেবারেই সেকেলে। তবে যারা তার পক্ষে, তারা যুক্তি দেন যে, তিনি ভিন্ন যুগের মানুষ, একটু রসিকতা করার চেষ্টা করেন। যারা ভেতরের খবর জানেন, তাদের মতে, এই হাস্যরসই আসলে প্রিন্স ফিলিপ এবং রানিকে এক করে রেখেছিল। তবে তিনি নিজে বলেছেন, এক্ষেত্রে সব কৃতিত্ব আসলে রানির সহনশীলতার। প্রিন্স ফিলিপ এবং রানি এলিজাবেথ। ২০০৭ সালের ছবি। রানির সব বক্তৃতা একসময় শুরু হতো, "আমার স্বামী এবং আমি…" এই বলে। এটা নিয়ে ১৯৬০ এর দশকে বেশ রঙ্গ-রসিকতা হতো। এরপর তিনি এই কথা বলা বন্ধ করে দেন। তবে আবেগটা থেকে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি কেবলই "আমি।" তাদের বিয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে রানি তার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন এভাবে: "বেশিরভাগ সময়, আমার মনে হয়, প্রিন্স ফিলিপকে কেবল আমার বক্তৃতা শুনতে হয়। তবে আমরা কোন বক্তৃতার আগে এটা নিয়ে বেশ আলোচনা করি, এবং আপনারা নিশ্চয়ই ধারণা করতে পারেন, তার মতামত আমার বক্তৃতায় সোজাসুজিই প্রতিফলিত হয়। "তিনি এমন একজন, যিনি সহজে নিজের প্রশংসা গ্রহণ করেন না, কিন্তু সোজা কথায় বলতে গেলে, তিনিই আমার জীবনের সাহস, এত বছর ধরে তিনি এবং তার পুরো পরিবার আমার পাশে আছেন। এই দেশ এবং বিশ্বের আরও অনেক দেশের অনেক ঋণ তার কাছে, তিনি যতটা দাবি করেন, বা যতটা আমরা জানি, তার চেয়ে অনেক বেশি।" | The Duke of Edinburgh, arguably the world's most famous husband, has died at the age of 99. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইনকা ওলাদিরান বলেন, বাড়ির মালিকরা আশা করেন প্রতিটি মেয়ের একজন পুরুষসঙ্গী থাকবে যার ফলে একা মেয়েদের পক্ষে বাসা ভাড়া পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনুফানমিলোলার বয়স ৩০। পেশাজীবনে ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছেন। খুব সহজেই তিনি একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু পাঁচ মাস ধরে বাসা খুঁজে না পেয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে এক বান্ধবীর বাসার সোফা। ভালো একটা চাকরি পেয়ে সে লেগোস থেকে আবেওকুটা তে চলে আসে। আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার পরেও মধ্যবিত্ত বা একটু বিত্তবানদের এলাকাতে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে পারেননি।কারণ একটাই তিনি একা থাকবেন ঐ বাসাতে। অনেক বাড়িওয়ালা মনে করেন মেয়েরা যথেষ্ট অর্থ থাকে না বিল পরিশোধ করার অনুফানমিলোলা বলছিলেন "প্রথম প্রশ্ন যে আমারকে শুনতে হয় সেটা হল আমি কি বিবাহিত? আমি বলি না,তারপর প্রশ্ন করা হয় কেন আমি বিয়ে করিনি। আমি বিভ্রান্ত হই। একটা বাসা ভাড়া নেয়ার সাথে বিয়ের কী সম্পর্ক?" আমরা ভদ্র লোককে বাসা ভাড়া দিতে চাই অনুফানমিলোলা বলছিলেন, এই বৈষম্য ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বিবিসিকে তিনি বলেন " ৯৯% বাড়ীর মালিক যাদের সাথে আমি সাক্ষাত করেছি, তারা কেউ আমাকে বাসা ভাড়া দেয়নি, কারণ আমি একা নারী। অনেক মালিক এবং এজেন্ট আমাকে বলেছে তুমি কি তোমার পুরুষ-সঙ্গী বা স্বামীকে আনতে পারবে? এই ধরণের অ্যাপার্টমেন্টে আমরাই চাই না কোন পুরুষ আসুক, আমরা চাই একজন ভদ্র মানুষকে ভাড়া"। পুরুষদের বেশি অর্থ আছে সিলভিয়া অয়িনডা রিটেইল সেক্টরের একজন প্রডাক্ট ম্যানেজার। ৩১ বছরে তার বাগদান হয়। কিন্তু প্রতি বাড়ীওয়ালা তাকে বলেন আগে তার হবু স্বামীকে আনতে হবে তারপর তারা অ্যপার্টমেন্ট দেখাবে। নাইজেরিয়াতে একটা কথা প্রচলিত আছে 'স্মল গার্ল, বিগ গড'। বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে। এই কথার অর্থ অনেকটা এমন, যারা সিঙ্গেল মেয়ে তাদের অর্থের যোগানদাতা থাকে। তারা বেশির ভাগই হয় বৃদ্ধ লোক। মিজ অয়িনডা বলছিলেন, বাড়ির মালিকরা মনে করেন বেশির ভাগ তরুণী যারা একা থাকে তাকে ঐরকম। কোলম্যান ওয়াফোর একটি বাড়ির মালিক এবং বেশ কিছু সম্পত্তির মালিক। তিনি বলছিলেন, তিনি এক্ষেত্রে বৈষম্য করেন না। কিন্তু তার বেশির ভাগ ভাড়াটিয়া এবং ক্রেতাই পুরুষ। কারণ তাদের তুলনামূলক বেশি অর্থ আছে। তিনি বিবিসিকে বলেন "বেশির ভাগ একা মেয়েরা হয় তাদের বাবা মা অথবা পুরুষসঙ্গী ওপর নির্ভরশীল। আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না এক বছর পর কী হবে। এবং প্রতিটা বাড়িওয়ালা চায় কোন ঝামেলা ছাড়া মাসের ভাড়া পাবে আর সময়মত কন্ট্রাক্ট নবায়ন করবে"। তিনি বলছিলেন, বেশির ভাগ একলা মেয়েরা কোন কাজ করে না। এখানে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি। এটাই এখানকার পরিস্থিতি। | Many landlords in Nigeria suspect single women of being prostitutes, making it difficult for them to rent apartments. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ক্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শামা (বামে) এবং শেজাদ (ডানে) কোরান অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হন এবং উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে প্রাণ হারান ২০১৪ সালে। "এখনও আমার মনে হয় আমি জেলে আছি। আপনি এখনও আমার পায়ে ক্ষত দেখতে পাবেন, যে ক্ষত হয়েছে আমার পায়ে শেকল বেঁধে রাখার কারণে।" মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেবার কারণে সাঈমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেয়া রায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তিনি বলছেন তিনি খ্রিস্টান বলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে অনেকসময় খেতে দিত না। "ওরা বলত, 'তুমি আমাদের ধর্মকে অপমান করেছ'," তিনি বিবিসিকে বলেন। তার বিরুদ্ধে কোরানকে খাটো করা এবং কোরান ব্যবহার করে ঝাড়ফুঁক করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে সাঈমার দাবি ছিল তার মুসলিম প্রতিবেশির বাচ্চাদের সঙ্গে তার নিজের বাচ্চার ছোটখাট ঝগড়াঝাঁটির পর ওই মুসলিম প্রতিবেশিরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, পাকিস্তানে ব্যক্তিগত কলহের শোধ নিতে ব্লাসফেমি আইন বা ধর্মদ্রোহিতা আইন প্রায়ই ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানি দণ্ডবিধিতে নবীর অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্তর মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, এবং "অন্য কোন ধর্ম"র অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ পাঞ্জাবে পুলিশের একজন মুখপাত্র এবছর ধর্মদ্রোহিতা আইনে নথিভুক্ত মামলার পরিসংখ্যান দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে অধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সোসাল জাস্টিসের হিসাব অনুযায়ী ১৯৮৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অন্তত ১,৪৭২ জনের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। আর এই ধর্মদ্রোহিতা আইন সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করা হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ব্লাসফেমির জন্য পাকিস্তান ছাড়তে হয়েছিল যাদের এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি আসিয়া বিবি এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে মামলা। ২০১০ সালে ধর্মদ্রোহিতার দায়ে আসিয়া বিবিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল এবং সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে খালাস দেয়। আদালতের রায়ের পর ক্রুদ্ধ প্রতিবাদ হয় পাকিস্তানের পথেঘাটে এবং তার মুক্তির বিরোধিতা করে আনা চূড়ান্ত আইনী চ্যালেঞ্জের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ এক অজ্ঞাত স্থানে তাকে নিয়ে যায় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। কোন কোন রিপোর্ট বলছে পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতা আইনে মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছেন আরও প্রায় ৪০জন, যারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে ধর্মদ্রোহিতার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কাউকে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় নি। কিন্তু অভিযুক্ত অন্তত ৭০ জন ক্রুদ্ধ জনতার হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর রয়েছে। সাঈমা বলছেন কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। তিনি নিজের নাম বদলে ফেলেছেন। "আমি এমনকী আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করতে যাই না, যদি তারাও কোন বিপদে পড়েন," সাঈমা বিবিসিকে বলেন। সেন্টার ফর লিগ্যাল এইড অ্যাসিসটেন্ট নামে লাহোরে একটি আইনী সহায়তা কেন্দ্রের প্রধান জোসেফ ফ্রান্সিস। এই কেন্দ্র ধর্মদ্রোহিতা আইনে অভিযুক্তদের হয়ে মামলা লড়ে। মি: ফ্রান্সিস বলছেন প্রায় ১২০টি ধর্মদ্রোহিতার মামলায় তিনি জিতেছেন এবং যারা মুক্তি পেয়েছে তাদের বেশিরভাগই এখন বিদেশে থাকেন। "একবার ধর্মদ্রোহিতা আইনে অভিযুক্ত হলে এরপর পাকিস্তানে বসবাস করা সেই ব্যক্তির পক্ষে অসম্ভব। একমাত্র টিঁকে থাকা সম্ভব যদি তার ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা যায়। " মি: ফ্রান্সিস বলছেন যেমনটা আসিয়া বিবির ঘটনায় দেখা গেছে যে নিম্ন আদালতে এধরনের মামলায় অভিযুক্তদের প্রায়ই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে আপিলের পর উচ্চ আদালতে সেসব মামলায় তারা খালাস হয়ে যায়। তিনি বলছেন এটা হয় কারণ বিচারিক আদালতে ধর্মীয় দলগুলো বিচারকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপের মুখে রাখে। আসিয়া বিবিকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নেন গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী (মাঝখানে) এরকম একজন আইনজীবী গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী যার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবশ্য এ অভিযোগ জোরের সঙ্গে অস্বীকার করেছেন। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "আমাদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র হলেন নবী। আমরা যা করি তা সবই করি তার সম্মান রক্ষায়।" ব্যক্তিগত কলহ ও বিবাদ মেটানোর অস্ত্র হিসাবে এই ধর্মদ্রোহিতা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। "আমি কখনও ব্যক্তিগত স্বার্থে কাউকে এই আইন ব্যবহার করতে দেখিনি। আসিয়া বিবির মামলায় এমন কোন কারণ দেখাতে পারবেন?" "কোন মুসলমান কখনও ইসলামকে ব্যবহার করে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনবে না। হয়ত চুরি, ডাকাতি, অপহরণের ক্ষেত্রে মানুষ ভুল করে কারো বিরুদ্ধে দোষারোপ করতে পারে, কিন্তু নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কেউ একাজ করবে না।" তার উল্টো অভিযোগ, এসব অভিযুক্তরা বিদেশে আশ্রয় পাবার চেষ্টায় ধর্মকে অবমাননার পথ নেয় এবং ইসলাম-বিরোধীদের চোখে 'হিরো' হয়ে উঠতে চায়। তিনি বলেন আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই উচ্চ আদালত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দোষীদের খালাস করে দিচ্ছে। গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী আসিয়া বিবির মামলায় গ্রামের মৌলবীদের পক্ষ নিয়ে মামলা লড়েন। সুপ্রিম কোর্টে আসিয়া বিবির আপিল শুনানিতে তিনি বলেন পাকিস্তানে ধর্মদ্রোহিতার সব মামলায় দেখা গেছে অভিযুক্তরা একইধরনের অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছে। তার বক্তব্য খ্রিস্টান নেতারা এদের শিখিয়ে দেয় কীধরনের মন্তব্য করলে তাদের বিদেশে আশ্রয় পাওয়া এবং বিদেশি সমর্থন পাওয়া সহজ হবে। আসিয়া বিবিকে মুক্তি দেবার পর রাস্তায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় মি: চৌধুরীর এই দাবি যুক্তিগ্রাহ্য না হলেও পাকিস্তানের মানুষের কাছে এই যুক্তি খুবই গ্রহণযোগ্য, কারণ তাদের অনেকেই মনে করে দেশের ভেতরে ও বাইরে অসাম্প্রদায়িক মহলের চাপে পাকিস্তানে ইসলাম বিপন্ন। মি: চৌধুরী নিজেকে দেখেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহম্মদ আলি জিন্নাহর আদর্শের একজন উত্তরসূরী হিসাবে। মি: জিন্নাহ ছিলেন একজন আইনজীবী। অন্যদিকে পাকিস্তানে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্স আসিয়া বিবির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার সংজ্ঞা নিয়ে অনেক জটিলতাও রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এই আইন সংস্কার বা এই আইন প্রত্যাহারের কোন সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ। আইনজীবী গুলাম মুস্তাফা চৌধুরী সহ পাকিস্তানের একটা বড় অংশ মনে করে দেশে এই আইনের প্রয়োজন আছে। এই আইন না থাকলে সহিংসতার আশংকা বাড়বে অনেক বেশি। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে চার বছর কারাগারে কাটানো সাঈমা বলছেন এই অভিযোগ তার জীবনকে ছারখার করে দিয়েছে। "বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর মত হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকে আসে - কী ঘটেছিল তা জানতে চায়। আমার এটুকুই ভাল লাগে যে আমার কথা ওরা শুনছে। কিন্তু তারপর কি? সবই আগের মত। জীবনের কিছুই তো বদলায় না।" বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: ভারতে ইভিএম নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস কেমন ছিল প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শৈশব? প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে যে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন সাংবাদিক | Saima - not her real name- still hasn't recovered from her four years in solitary confinement in a small Pakistani prison cell. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ছবির ডান দিকের কোণায় লাল বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত কিম ইয়ং-চোলকে দেখা যাচ্ছে গত শুক্রবার খবর বেরোয় যে কিম ইয়ং-চোলকে শাস্তি হিসেবে শ্রম শিবিরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয় যে তিনি একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে বসে আছেন। তার সাথে একই সারিতে কিম জং আন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা আছেন। ছবিতে কিম ইয়ং-চোলের মুখের একাংশ তার দু-হাতে আড়াল করা, কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া অন্যান্য কয়েকজন তাকে সনাক্ত করেছেন। সাবেক গুপ্তচর প্রধান কিম ইয়ং-চোলকে সেদেশের সর্বময় ক্ষমতাসম্পন্ন নেতা কিম জং-আনেরর ডান হাত বলে মানা হতো। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে হোয়াইট হাউসে কিম ইয়ং-চোল উত্তর কোরিয়া বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বিবিসির কাছে বলেছেন, কিম ইয়ং-চোল যে ক্ষমতাশালী কোন পদে বহাল আছেন - ছবি দেখে এটা তার কাছে বিশ্বাস্য বলেই মনে হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড্র ট্রাম্পের সাথে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। এর পর দক্ষিণ কোরিয়ান এক পত্রিকায় অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তার নিখোঁজ হবার খবর বেরোয় । সাথে আরো জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রে উত্তর কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত কিম হায়ক-চোলকে হত্যা করা হয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার পদচ্যুত কর্মকর্তাদের শাস্তির এসব খবর খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়। অতীতে নানা জনের নামে এরকম খবর বেরুনোর পরে তাদেরকে আবার জীবিত অবস্থায় দেখা গেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: হরিণ শিকার রোধে সুন্দরবনে সতর্কতা: কতটা কাজ হবে? ট্রাম্প আর সাদিক খানের মধ্যে এই বাকযুদ্ধ কেন? বাংলাদেশে যেখানে জমজমাট কাঁকড়ার ব্যবসা ঈদের ছুটিতে ব্যাংক, বুথ, কার্ড কতটা নিরাপদ? | A North Korean official who was reported to be in a labour camp attended a weekend concert alongside Kim Jong-un, state media said. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্দেজ, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের বন্ধু। এই নান হলেন সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্ডেজ এবং কয়েদি হলেন টান মুই চু। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের মামলায় টান মুই চু'র ফাঁসির আদেশ হয়। সিস্টার জেরার্ড এক সময় টান মুই চু'কে স্কুলে পড়িয়েছেন। সিস্টার জেরার্ড বলছেন, টান ছিলেন এক সাদাসিধে মেয়ে। ধর্মপরায়ণ এক পরিবার থেকে তিনি কনভেন্ট স্কুলে পড়তে এসেছিলেন। টান ও তার স্বামী এড্রিয়ান লিম, এবং স্বামীর রক্ষিতা হো কাহ্ হং এর বিরুদ্ধে দুটি শিশুকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তাদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। "টান জীবনে বড় ধরনের ভুল করেছিল," বলছেন স্বল্পভাষী এই ৮১-বছর বয়সী সন্ন্যাসিনী, "তার খবরটা প্রথম শোনার পর আমার খুব খারাপ লেগেছিল। তখনই আমার মনে হয়েছিল যে করেই হোক তার সাথে দেখা করতে হবে।" এরপর বেশ কয়েক বছর ধরে সিস্টার জেরার্ড টান মুই চু'র সাথে দেখা করার জন্য কারাগারে যান। দু'জনে গভীর রাত পর্যন্ত একত্রে উপাসনা করেন। সিস্টার জেরার্ড বলছেন, এর মাধ্যমে দু'জনের মধ্যে একটা আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়। দু'জন পরস্পরকে আরো ভালভাবে বুঝতে পারেন। "তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম, এবং সে-ও জানতো সে আমার সাথে মন খুলে কথা বলতে পারতো," বলছেন তিনি, "আমার মনে হয় তার মনের ভেতরের কারাগার থেকে সে মুক্তি পেয়েছিল।" সিঙ্গাপুরে খুন এবং মাদক-সম্পর্কিত অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। টান মুই চু'র ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয় ১৯৮৮ সালের ২৫শে নভেম্বর। তার সাথে সিস্টার জেরার্ডের দেখা হয়েছিল সেদিন সকালে। "একটা লোক সারা জীবনে অনেক খারাপ কাজ করলেও, তার জীবনের দাম কিন্তু তার চেয়েও অনেক বেশি," বলছেন সিস্টার জেরার্ড, "পাপ যত বড়ই হোক না কেন মর্যাদা নিয়ে মৃত্যুর অধিকার সব মানুষের রয়েছে।" জীবনের শেষ সকালে টান মুই চু একটি নীল রঙের পোশাক পরেন। তার জুতার রঙও ছিল নীল। "সে দিন সে ছিল বেশ শান্ত," বলছেন সিস্টার জেরার্ড। এরপর এই দুই নারী হাতে হাত ধরে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। "সে যখন ফাঁসির মঞ্চের ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছিল, তার পায়ের শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। ফাঁসি কাঠের লিভারটি যখন টেনে ধরা হলো আর ট্র্যাপ ডোরটি যখন ঘটাং করে খুলে দেয়া হলো, সেটা আমি অনুভব করতে পারছিলাম। ঠিক তখনই আমি টের পেলাম সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল।" সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত চাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে একটু দূরে এই বিশাল চাঙ্গি কারাগার। দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত অপরাধী এবং মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কয়েদিদের এখানে রাখা হয়। এই কারাগারেই টান মুই চু'র মতো আরো ১৮ জন কয়েদিকে সিস্টার জেরার্ড ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গেছেন। "মৃত্যুদণ্ডের বাস্তবতা আসলে কেউই সহজে স্বীকার করে নিতে পারে না," বলছেন তিনি। "নিজের ভাগ্যকে মেনে নিতে সময় লাগে। আর এটা স্বীকার করে নিতেও অনেক বেদনা তৈরি হয়।" সিস্টার জেরার্ড গত ৪০ বছরে ধরে কারাগারের বন্দীদের সাথে কাজ করছেন। তিনি মনে করেন ঈশ্বরই তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্দেজ, ৮১, সিঙ্গাপুরের টোয়া পেও খ্রিস্টান মঠে বাস করেন। এই প্রসঙ্গে অন্যান্য খবর: সৌদিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর একজনকে 'ক্রুশবিদ্ধ' শ্রীলংকায় কেন হঠাৎ দুইজন জল্লাদ নিয়োগ? "ফাঁসির আসামীর অনেক ধরনের মানসিক ও ধর্মীয় সাহায্যের প্রয়োজন হয়," তিনি বলছেন। "আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে ক্ষমা চাইতে পারলে, আর মনের ক্ষত পুষিয়ে নিতে পারলে - তারা মৃত্যুর পর আরো ভাল কোন জায়গায় যেতে পারবে।" বেশ কয়েক বছর পর আরেকজন পুরুষ বন্দি সিস্টার জেরার্ডের সাথে যোগাযোগ করেন। "তিনি আমাকে বলছিলেন কারাগারে আমার উপস্থিতি তার মনে শান্তি এনে দিয়েছিল।" সিস্টার জেরার্ড বলছেন, কয়েদিদের ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়াকে তিনি অত্যন্ত সম্মানের কাজ বলে মনে করেন। "জীবনের চরম মুহূর্তে কেউ যখন তাদের মনের গভীর দু:খগুলো ভাগ করে নেন এবং তাদের হৃদয়ে আমাকে স্থান দেন, তখন সেটা হয় ভালবাসা আর আস্থার সর্বোচ্চ প্রতীক," বলছেন তিনি। ঐ কয়েদির একটা কথা সিস্টার জেরার্ডের মনে এখনও গেঁথে আছে: "সকালেই আমার সাথে ঈশ্বরের দেখা হবে। তখন তাকে আমি আপনার কথা জানাবো।" সিঙ্গাপুরের কারা প্রশাসনের অধীনে ১৪টা কারাগার ও মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দিদের সহায়তার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই ধরনের সেবা। "সিস্টার জেরার্ড একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমাদের সাথে ৪০ বছর ধরে কাজ করছেন," একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলছিলেন, "তার নিষ্ঠা, আবেগ, তার ত্যাগী মনোভাব আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে।" মৃত্যুদণ্ডের ইস্যু নিয়ে সিঙ্গাপুরে বিতর্ক রয়েছে। এখানকার অধিবাসীদের মতামতও বিভক্ত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ধনী নগর-রাষ্ট্রটি নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং অপরাধের নিম্ন মাত্রা নিয়ে গর্বিত। চাঙ্গি কারাগারে আটক বন্দিরা। সরকার যদিও ২০১২ সালে মৃত্যুদণ্ডের আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছে, কিন্তু সরকারি হিসেবেই দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, কঠোর আইন-প্রয়োগের প্রশ্নে বড় ধরনের জনসমর্থন রয়েছে। "মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে জনসমর্থন সাধারণত বেশি," বলছেন কার্সটেন হান। 'উই বিলিভ ইন সেকেন্ড চান্স' নামে এক প্রতিষ্ঠানের তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের পক্ষে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। "মৃত্যুদণ্ডকে দেখা হয় অপরাধ ঠেকানোর উপায় হিসেবে," বলছেন মিজ হান, "এই ধরনের কঠোর আইন-প্রয়োগের প্রতি সিঙ্গাপুরবাসীদের সমর্থনের পেছনে বহু কারণ রয়েছে। কিন্তু এনিয়ে মুক্ত ও খোলাখুলি আলোচনা হয় কমই।" আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মৃত্যুদণ্ডের ঘোর বিরোধী। এর একজন কর্মকর্তা ফিল রবার্টসন বলছেন, "সহজাতভাবেই এটা এক নিষ্ঠুর প্রথা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের খোলাখুলি বরখেলাপ।" "অন্যান্য দেশগুলো যখন একের পর এক মৃত্যুদণ্ড প্রথা রদ করে দিচ্ছে তখন সিঙ্গাপুরের ক্ষমতাসীন পিপলস্ অ্যাকশন পার্টি এই প্রথা চালিয়ে যেতে পারে না।" "কাউকে মেরে ফেলার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপের পেছনে আসলে কোন যুক্তি নেই।" সম্ভবত সেই কারণেই সিস্টার জেরার্ড ফার্নান্দেজ নিজেও মৃত্যুদণ্ডর বিপক্ষে, কারণ "এটা মানুষের জীবন কেড়ে নেয়।" "প্রতিটা জীবনই অত্যন্ত মূল্যবান," বলছেন তিনি, "আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু তবুও আমি আশা করবো কোন এক সময় মৃত্যুদণ্ড প্রথা উঠে যাবে।" বিবিসি বাংলায় আরও খবর: গণহারে শ্রমিক ফিরে আসার নেপথ্যে কি সৌদি 'ফ্রি ভিসা' অধ্যক্ষকে পানিতে নিক্ষেপ: যা ঘটেছিল সেদিন ভারতের সাথে চুক্তি: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবে বিএনপি | In 1981 a Catholic nun from Singapore began writing letters to a female inmate on death row. It became an exchange that would last seven years. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | তুরস্কের তেল অনুসন্ধান জাহাজ ওরুচ রেইসকে পাহারা দিচ্ছে যুদ্ধজাহাজ নতুন যেসব অস্ত্র গ্রিস কিনবে তার মধ্যে রয়েছে ১৮টি ফরাসী রাফালে যুদ্ধবিমান, চারপি ফ্রিগেট এবং চারটি নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলেছেন, এ ছাড়াও আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশটির সেনাবাহিনীতে আরো ১৫ হাজার সৈন্য যোগ করা হবে। গ্রিস যেসব অস্ত্র কিনবে তার মধ্যে আরো রয়েছে নৌবাহিনীর জন্য টর্পেডো, ট্যাংক-বিধ্বংসী অস্ত্র এবং বিমান বাহিনীর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র গত দু দশকের মধ্যে এটিই হবে গ্রিসের সবচেয়ে বড় আকারের অস্ত্র ক্রয়। সম্প্রতি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্যাসের মজুত অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে যে কারণে চলছে গ্রিস-তুরস্ক দ্বন্দ্ব লিবিয়া ঘিরে তুরস্ক আর ফ্রান্সের বিতণ্ডা এখন তুঙ্গে তুরস্ক কি আমেরিকার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে? গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলছেন, "আমাদের সময় এসেছে সশস্ত্রবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার। এবারের অস্ত্র ক্রয় এমন একটি কর্মসূচি যা দেশের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করবে।" তুরস্ক সম্প্রতি গ্রীক দ্বীপ কাস্তেলোরিজোর জলসীমার কাছে তেল অনুসন্ধানী গবেষণা জাহাজ পাঠায়, যে এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের সামান্য দুরে। এর জবাবে গ্রিস কয়েকটি ইইউ দেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সাথে নিয়ে সেখানে এক নৌ মহড়া চালায়। ভূমধ্যসাগরের এই এলাকাটিতে তেল অনুসন্ধান নিয়েই তুরস্ক-গ্রিস বিবাদ তুরস্কের সাথে এই বিবাদে গ্রিসকে সমর্থন দিচ্ছে ফ্রান্স। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন, তুরস্ক "যে আচরণ করছে তা অগ্রহণযোগ্য" এবং তার সাথে স্পষ্ট ও শক্ত আচরণ করা জরুরি। তুরস্ক ও গ্রিস - উভয় দেশই নেটো জোটের সদস্য। তা ছাড়া গ্রিস ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য আর তুরস্কের ইইউ সদস্য হবার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। এ দুটি দেশের মধ্যে বিভক্ত দ্বীপ সাইপ্রাস, অভিবাসী সমস্যা নিয়ে বহুকাল ধরেই উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি তুরস্ক ইস্তাম্বুলের হাইয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করে - যা একসময় কয়েক শতাব্দী ধরে খ্রিস্টান অর্থোডক্স গির্জা ছিল। এ পদক্ষেপের কড়া বিরোধিতা করেছিল গ্রিস। আরো পড়তে পারেন: এরদোয়ান: আরব দেশে তিনি কেন এতো জনপ্রিয়? হাইয়া সোফিয়া মসজিদে ৮৬ বছর পর জুম্মার নামাজ জাদুঘর না মসজিদ? হাইয়া সোফিয়ার ভবিষ্যৎ তুরস্কের আদালতে | Greece has announced a significant weapons purchase as tensions with neighbouring Turkey rise. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রবিবার সিবিএস নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে মি. বাইডেন এমন বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, আমেরিকা যদি আগে তাদের ওপর থেকে সমস্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই তেহরান চুক্তিতে ফিরবে। ২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পরিবর্তে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছিল, যার কারণে ইরান তাদের বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় করে। ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়ে চলছে এবং বলছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রিয়্যাক্টর জ্বালানী তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে তবে এই একই জিনিষ পারমাণবিক বোমা তৈরিতেও ব্যবহার হয়। কেন পরমাণু চুক্তি ভেঙে গেল? ২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্যের সাথে ইরানের একটি পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী- তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের পারমানবিক প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করতে দেবে বলে একমত হয়েছিল। এর বিনিময়ে তেহরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হয়। আরও পড়তে পারেন: ইয়েমেন যুদ্ধে সমর্থন প্রত্যাহার বাইডেনের, কিছু অস্ত্র বিক্রি বন্ধ অভ্যন্তরীন সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে সতর্কতা জারি প্রথম ফোনালাপে পুতিনের সাথে যে কথা হলো প্রেসিডেন্ট বাইডেনের তবে মি. ট্রাম্প ইরানকে নতুন একটি চুক্তিতে আসার জন্য আলোচনা করতে চাপ দেয় এবং এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে, মি. ট্রাম্প ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। মি. ট্রাম্প তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নজরদারি রাখতে চেয়েছিলেন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উৎপাদনও থামিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইরান তা প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে, এটি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের শুদ্ধতার মাত্রা ৩.৬৭%-এর চেয়ে বাড়িয়ে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং এই বছরের জানুয়ারিতে ঘোষণা করেছে যে তারা ২০% পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রেখেছে। অস্ত্র তৈরি করতে ৯০% বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সাংবাদিক, বাইডেনকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তিনি তেহরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেবেন কি না। মি. বাইডেন এক কথায় জবাব দিয়েছেন, "না" এদিকে, আলী খামেনি বলেছেন যে এই চুক্তির আওতায় ইরানকে সব শর্তে ফিরিয়ে আনতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে "সমস্ত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিতে হবে", ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি রবিবার এ সংক্রান্ত খবর প্রচার করেছে। "আমরা তাদের সবকিছু মূল্যায়ন করব, এবং আমরা যদি দেখি যে তারা এই বিষয়ে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করছে, তাহলে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যাব," তিনি আরও বলেন, "এটাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, যা বদলাবে না এবং সমস্ত ইরানি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।" বাইডেন আর কী বললেন? প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিবিএসের সাথে ওই সাক্ষাৎকারে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে বেইজিংয়ের সাথে ওয়াশিংটনের সরাসরি দ্বন্দ্বের দিকে যাওয়ার কোন কারণ নেই, তবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দুটি দেশই চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। মি. বাইডেন বলেছেন যে তিনি গত মাসে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার কোন কথা হয়নি এবং তিনি বেইজিংয়ের প্রতি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেননি। "তিনি খুব বুদ্ধিমান, তিনি খুব কঠোর," মি. বাইডেন, মি. শি সম্পর্কে বলেছেন, "তাঁর অস্থিমজ্জার কোথাও গণতন্ত্রের প্রথমে অক্ষরটিও নেই।" | US President Joe Biden says he will not lift economic sanctions against Iran until it complies with the terms agreed under a 2015 nuclear deal. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ভারতে নারীর ১৮ এবং পুরুষের ২১ বছর হলেই তারা বিয়ে করতে পারেন। এই নারী ছেলেটির চেয়ে তিন বছরের বড়। অর্থাৎ তার বয়স এখন ২০। ভারতে অল্পবয়সীকে মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগে পুরুষ স্বামীকে গ্রেফতারের খবর হরহামেশা পাওয়া গেলেও কম বয়সী ছেলেকে বিয়ে করার অভিযোগে কোন নারীকে গ্রেফতারের ঘটনা বিরল। এই দম্পতির একমাত্র কন্যার বয়স পাঁচ মাস। নারীকে গ্রেফতার করার কারণে তাদের বাচ্চাটিও গত দুসপ্তাহ ধরে জেলখানায় রয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই কিশোরের মায়ের পক্ষ থেকে তাদের কাছে অভিযোগ দায়েরের পর তারা ওই নারীকে গ্রেফতার করেছেন। আটক নারীর বিরুদ্ধে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: যে রায়ের পর নড়েচেড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকার দলীয় প্রার্থীদের মাথ্যাব্যথার কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা? সংসদ নির্বাচন: সব দল সমান সুযোগ পাচ্ছে কি? কিন্তু ওই নারী বলেছেন, তাদের দু'জনের সম্মতিতে এই বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী প্রাপ্তবয়স্ক নয়- এই অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন। তবে ভারতীয় আইনে ছেলে মেয়ে দুজনের ক্ষেত্রেই যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে অনুমতি দিতে তাকে ১৮ বছর বয়সী হতে হবে। আর বিয়ের জন্যে নারীকে হতে হবে ১৮, পুরুষকে ২১। ফলে এই মামলায় অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে শিশু বিবাহ আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের একজন বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, ওই কিশোরের মা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে বলেছিলেন যে ওই নারী ও তার পরিবার তার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। তিনি জানান, এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর অভিযুক্ত নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। | Police in the Indian city of Mumbai have arrested a 20-year-old woman for marrying a 17-year-old boy. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | শিশু অপহরণ থেকে সতর্ক করতে পাকিস্তানে এই ভিডিওটি তৈরি হলেও, ভারতে এটি বিকৃত আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গবেষণা বলছে, অনেক ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদ চাঙ্গা করতে পারে এরকম আবেগকে প্রকৃত খবরের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বামপন্থীদের চেয়ে ডানপন্থী নেটওয়ার্কগুলো অনেক বেশি সংগঠিত। এমনও দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে সোশাল মিডিয়াতে যেসব নেটওয়ার্ক কাজ করছে তারা যেসব ভুয়া খবর প্রচার করছে, সেই একই খবর প্রচার করছে ফেইক নিউজের অন্যান্য উৎসগুলোও। ভারত, কেনিয়া এবং নাইজেরিয়াতে ভুয়া খবরের ওপর বড় ধরনের গবেষণা চালিয়ে এসব জানা গেছে। এই গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছেন, তারা এক সপ্তাহ ধরে তাদের ফোন বিবিসিকে দেখতে দিয়েছেন। তারা কী ধরনের খবর শেয়ার করছেন, কাদের সাথে শেয়ার করছেন এবং কতোবার শেয়ার করছেন বিবিসির গবেষকরা সেসব পর্যালোচনা করে দেখেছেন। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল বিকৃত তথ্য এবং ভুয়া খবর সারা বিশ্বে মানুষের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে সেটা অনুসন্ধান করে দেখা। এই তিনটি দেশেই দেখা গেছে, মূলধারার সংবাদ মাধ্যমের ওপর জনগণের অনাস্থার কারণে তারা বিকল্প জায়গা থেকে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এসব তথ্য যাচাই বাছাই করার কথা তারা ভেবেও দেখেনি। তার আগেই তারা এসব খবর শেয়ার করেছে। তারা মনে করেছে, এই খবরটি যতো বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে ততোই হয়তো তার ভেতর থেকে প্রকৃত খবরটি বেরিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি এসব মানুষের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস খুব তীব্র যে কোনটা আসল খবর আর কোনটা ভুয়া খবর সেটা তারা চিহ্নিত করতে পারে। ২০১৮ সালে যেভাবে ডিজিটাল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে তাতে এই সমস্যার আরো অবনতি হয়েছে। . আরো পড়তে পারেন: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যা গুজবে কান দিয়ে কেন মানুষ পিটিয়ে মারা হচ্ছে? ভুয়া খবরের দায়ে ভারতে প্রশ্নের মুখে হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে যখন জীবনমৃত্যুর কারণ বানোয়াট খবর বিবিসির গবেষণায় যারা অংশ নিয়েছেন, দেখা গেছে, কোনটা আসল খবর আর কোনটা ভুয়া খবর সেসব যাচাই করার ব্যাপারে তারা খুব কমই সচেষ্ট ছিলেন। এসব ভুয়া খবরের উৎস কী- সে বিষয়েও তাদের তেমন একটা মাথাব্যথা ছিল না। বরং খবরটি কতোখানি সঠিক সেটা যাচাই করতে গিয়ে তারা অন্য কিছু বিবেচনা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ফেসবুকের কোন একটি পোস্টে কত মন্তব্য পড়েছে, কী ধরনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে অথবা কে এই খবরটি দিয়েছে ইত্যাদি। তারা মনে করেন, নিজেদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবরা হোয়াটসঅ্যাপে যেসব খবর শেয়ার করছেন, সেগুলো যাচাই না করেই সরাসরি বিশ্বাস করার মতো। হোয়াটসঅ্যাপে এরকম ভুয়া গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ছেলেধরার ভুয়া ভিডিও তারা তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করেছে এগুলো যাচাই না করেই। তারা মনে করেছেন, পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করার জন্যে এসব খবর শেয়ার করা তার দায়িত্ব ছিল। বিবিসির অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, সোশাল মিডিয়া ও বার্তা আদান প্রদানের অ্যাপগুলো থেকে গুজব ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত বছর অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। কিন্তু আফ্রিকায় চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে জাতীয়তার পরিচয় অতোটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। ছেলেধরা সংক্রান্ত এধরনের খবরাখবর ভারতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেনিয়াতে দেখা গেছে, এর পেছনে বড় কারণ ছিল অর্থ কিম্বা প্রযুক্তি। সেখানে হোয়াটসঅ্যাপে যতো খবর শেয়ার করা হয়েছে তার এক তৃতীয়াংশ ছিল এসংক্রান্ত খবর। কিন্তু নাইজেরিয়াতে সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাস সম্পর্কিত খবরাখবর প্রচুর পরিমাণে শেয়ার করা হয়েছে। এই দুটো দেশেই বেশি শেয়ার হয়েছে স্বাস্থ্য সম্পর্কে আতঙ্কিত হওয়ার ভুয়া খবর। গবেষকরা এই তিনটি দেশে চালানো জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮০ জন ব্যক্তির সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন। সোশাল মিডিয়াতে তারা কীভাবে খবর শেয়ার করেন, এই খবরগুলোকে কতোটা গুরুত্বের সাথে নেন- এসব বিষয়ে তাদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। ভারতে টুইটারে ও ফেসবুকে যেসব ভুয়া খবর ছড়িয়েছে, সেগুলোর পেছনে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেটাও বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গবেষকরা। এজন্যে ভারতে ১৬,০০০ টুইটার এবং ৩,০০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে, সেখানে উগ্র-ডানপন্থী খবরাখবর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনের তারিখ পেছালো কমিশন আয়কর সম্পর্কে যেসব তথ্য না জানলেই নয় মাশরাফির সিদ্ধান্ত নিয়ে যত আলোচনা-সমালোচনা | A rising tide of nationalism in India is driving ordinary citizens to spread fake news, according to BBC research. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ইতালিতে সব ধরণের স্কুল, ব্যায়ামাগার, জাদুঘর, নাইটক্লাব, এবং অন্যান্য জনসমাগম স্থান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি সুরক্ষা সংস্থার হিসাবে, একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৫%। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮৮৩ থেকে বেড়ে ৭৩৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতা গ্রহণের মধ্যেই প্রাণহানি ও আক্রান্তের এই সংখ্যা বাড়লো। নতুন জারি করা কোয়ারেন্টিন নিয়ম অনুযায়ী ১৪টি প্রদেশের এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে ভ্রমণ করতে হলে বিশেষ অনুমতি লাগবে। প্রধানমন্ত্রী জুজেপ্পে কন্টে দেশ জুড়ে সব ধরণের স্কুল, ব্যায়ামাগার, জাদুঘর, নাইটক্লাব, এবং অন্যান্য জনসমাগম স্থান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। আগামী ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। নতুন করে সংখ্যা বাড়ার কারণে গত ডিসেম্বরে সংক্রমণ শুরু হওয়া চীনের বাইরে ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। আক্রান্তের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকেও পেছনে ফেলেছে ইতালি যেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩১৩ জন। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধানও রয়েছেন। সালভাতোর ফারিনা বলেন, তিনি সেরে উঠছেন এবং নিজে থেকেই আইসোলেশনে রয়েছেন। নতুন করে চালু হওয়া কোয়ারেন্টিনের কঠোর পদক্ষেপ দেশটির মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের উপর প্রভাব ফেলেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলে যা দেশটির অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে যেভাবে হাত ধুতে হবে লম্বার্ডিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বড় ধরণের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় ওই এলাকায় এক কোটির মতো মানুষ বাস করে। সেখানে আক্রান্তদের হাসপাতালের করিডরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। "আমরা আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে চাই। আমরা বুঝি যে, এই ব্যবস্থার কারণে ছোট-বড় নানা ধরণের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে," শনিবার মধ্যরাতে কড়াকড়ি আরোপের সময় দেয়া ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী কন্টে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মানুষ নির্বিঘ্নে লম্বার্ডিতে প্রবেশ বা বেরিয়ে যেতে পারবে না। ওই এলাকার প্রধান শহর মিলান। একই ধরণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আরো ১৪টি প্রদেশে: মদেনা, পারমা, পিয়াচেনসা, রেজিও এমিলিয়া, রিমিনি, পেজারো এন্ড উরবিনো, আলেসান্দ্রিয়া, আস্তি, নভারা, ভেরবানো কুজিও ওসোলা, ভারসেই, পাদুয়া, ত্রেবিসো ও ভেনিস। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর। রোববার আক্রান্ত এসব এলাকায় কিছু যান চলাচল ছিল। কিছু নিয়মিত ফ্লাইট বাতিল করা হলেও মিলানের মালপেনসা ও লিনাতে বিমানবন্দরে এখনো কিছু ফ্লাইট চলাচল করছে। আরো পড়তে পারেন: যাই হোক, ইতালির জাতীয় বিমান সংস্থা অলইতালিয়া বলেছে, সোমবার থেকে মালপেনসা থেকে সব ধরণের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হবে এবং লিনাতে শুধু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু থাকবে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রোম থেকে পরিচালিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস ইতালির এমন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। রবিবার পর্যন্ত ইতালির উত্তরাঞ্চলে ৫০ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে সরকার দেশের সব স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। অন্যান্য স্থানের অবস্থা কেমন? বিশ্ব জুড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক লাখ সাত হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৩৬০০ জন। বেশিরভাগ প্রাণহানি হয়েছে চীনে। কিন্তু রবিবার দেশটি জানিয়েছে যে, জানুয়ারির পর থেকে গতকাল দেশটিতে সবচেয়ে কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে দেশটিতে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে কমে আসছে। ইরান যেখানে চীনের পর সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব আক্রান্ত দেশ, সেখানে ১৯৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ৬৫৬৬ জন সংক্রমিত হয়েছে। তবে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা এর চেয়ে আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। রবিবার এক সরকারি কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু উত্তরাঞ্চলীয় গিলান প্রদেশেই ২০০ জন মারা গেছে। কিন্তু পরে এই সংখ্যা সরিয়ে নেয়া হয়। ফ্রান্সে, পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যেও ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, জাতীয় পরিষদের আরো দুই সদস্য নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট চার জন নির্বাহী সংক্রমণের শিকার হলো। এছাড়া রবিবার ফ্রান্সে ১১২৬ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে, যা একদিনে ১৯% বেশি এবং ইউরোপে ইতালির পর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। এক সাথে এক হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। অন্যান্য খবর •যুক্তরাজ্যে ৬০ বছর বয়সী একজন মারা গেছে। এ নিয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় ব্যক্তি মারা গেল দেশটিতে। ওই ব্যক্তির আরো উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল এবং তিনি নর্থ ম্যানচেস্টার জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। তিনি সম্প্রতি ইতালি ভ্রমণ করে ফিরেছিলেন। •মিশর, কুয়েত এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৯টি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। এসব দেশের নাগরিকদেরও সৌদিতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে। •পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, একটি স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তির পর ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাতের কারণে নিজে থেকেই বাড়িতেই আইসোলেশনে যাচ্ছেন তিনি। •গত সপ্তাহ কনজারভেটিভ পলিটিকাল অ্যাকশন কনফারেন্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির সাথে হাত মেলানোর পর নিজে থেকে আইসোলেশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ। •সান ফ্রান্সিস-কোতে নোঙর করে রাখা গ্র্যান্ড প্রিন্সেস প্রমোদ জাহাজটি সোমবার অকল্যান্ডে পৌঁছাবে। •যুক্তরাষ্ট্রের অরেগনে ১৪ জন আক্রান্ত হওয়ার পর সেখানে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭০ জনেরও বেশি মানুষকে কোভিড-১৯ এর কারণে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। অন্যান্য যেসব দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সেগুলো হলো: জার্মানি(৯৩৯), স্পেন(৫৮৯), যুক্তরাজ্য(২৭৩), নেদারল্যান্ডস(২৬৫)। আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, মালদ্বীপ, মাল্টা ও প্যারাগুয়ে-তে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খরব নিশ্চিত করা হয়েছে। | The number of people to have died from the coronavirus in Italy has shot up by 133 in a day to 366, officials say. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ঘটনাটি ঘটেছে পার্লামেন্ট হিল এলাকায়, যেখানে রয়েছে কুইবেকের পার্লামেন্ট ভবন। এ হামলায় আরো কমপক্ষে পাঁচজন আহতও হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার পরে মধ্য কুড়ির এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ এলাকাবাসীকে ঘরে থাকবার অনুরোধ জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ওল্ড কিবেক এলাকায়। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটার কিছু পরে পার্লামেন্ট হিল এলাকায় প্রথম হামলার খবর আসে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর সংবাদদাতারা টুইটারে ছবি প্রকাশ করে বলছেন, কিবেকের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। আরো পড়ুন: ফ্রান্সে নবীর কার্টুন ও 'অবমাননা': ঢাকায় ইসলামপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ ফ্রান্স হামলা: হামলাকারী কয়েক দিন আগে তিউনিসিয়া থেকে এসেছিল ফ্রান্সে 'সন্ত্রাসী হামলা', তিনজন ছুরিকাঘাতে নিহত | At least two people have been stabbed to death in the Canadian city of Quebec by a man armed with a sword and dressed in medieval clothing, police say. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | কিন্তু এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্ব নারীদের আবিষ্কারক চিন্তার পুরোপুরি এখনো ব্যবহার করতে পারছে না। যুক্তরাজ্যের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি বিষয়ক দপ্তর (আইপিও) এর এক গবেষণা বলছে, সারা বিশ্বে পেটেন্ট আবেদনের মাত্র ১৩% আসে নারীদের কাছ থেকে। কিন্তু এক সময়, প্রতি সাত জন আবিষ্কারকের মধ্যে এক জনই ছিলেন নারী। এবং যদিও এখন পেটেন্ট আবেদনে নারীদের হার বাড়ছে তবুও এই বিষয়ে লিঙ্গ সমতা আনা ২০৭০ সালের আগে সম্ভব নয়। তাহলে, আবিষ্কারের দুনিয়ায় নারীদের সংখ্যা এতো কম কেন? গবেষকরা বলছেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতে যা একত্রে সংক্ষেপে স্টেম নামে পরিচিত তাতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরণের ফাঁক থাকাটাই এর জন্য দায়ী। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিষয়ক আইনি প্রতিষ্ঠান পাওয়েল এন্ড গিলবার্টের অংশীদার পেনি গিলবার্টের মতে, এটা একটি পাইপলাইন ইস্যু মাত্র। আরো পড়ুন: চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক নারীর রেকর্ড চারবার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে এক নারীর রেকর্ড আফগানিস্তানে নারীবাদী রেডিও চালান সাহসী যে নারী "আমরা যদি নারীদের পেটেন্ট আবেদন বাড়াতে দেখতে চাই, তাহলে আরো বেশি নারীকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্টেম বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করতে হবে এবং তাদেরকে গবেষণাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে," তিনি বলেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের স্টেম শিল্পের কর্মীদের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ নারী। এছাড়া মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খুব কম সংখ্যক মেয়ে এবং নারীরা এ ধরণের বিষয়ে পড়াশুনা করে। যদিও এই বৈষম্য দূর করে ভারসাম্যের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্টেমের দুই-তৃতীয়াংশ এখনো পুরুষ সাধারণত, কোন কিছুর আবিষ্কারককেই সেই পণ্যের পেটেন্ট দেয়া হয়। যা ওই পণ্যের আবিষ্কারক বা মালিকদের তাদের পণ্য অন্যদের ব্যবহার করতে দেয়ার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ দেয়। একটি "আবিষ্কার" এর পেটেন্ট পাওয়ার যোগ্য হতে হলে, নতুন একটি ব্যবহারযোগ্য চিন্তা থাকতে হবে- যা ওই ক্ষেত্রে একজন দক্ষ মানুষের জানা থাকবে না। কোন একক ব্যক্তি বা আবিষ্কারকের একটি দল এই আবেদন করতে পারবে। আবিষ্কারকদের মধ্যে লিঙ্গ সমতার পার্থক্য আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন নারীদের আবিষ্কারের বিষয়টি একটি পুরুষ-শাসিত দলে একমাত্র সদস্য হিসেবে কোন নারী থাকে। পেটেন্টের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই পুরুষদের দল কিংবা কোন একক পুরুষ আবিষ্কারকের দখলে। আর সেখানে মাত্র ৬% একক নারী আবিষ্কারক থাকেন। আবিষ্কারক কোন দলের সব সদস্য নারী-এমনটা দেখা যায় না বললেই চলে। আইপিওর মতে, নারীদের দলের আবিষ্কারক হিসেবে পেটেন্টের জন্য আবেদন করার হার মাত্র ০.৩%। তবে পেটেন্টের জন্য আবেদন করলেই যে নারীরা পেটেন্টের অনুমোদন পায় তা নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পেটেন্ট আবেদন নিয়ে চালানো এক গবেষণা বলেন, কোন আবেদনে নারীর নাম থাকলে পেটেন্টের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনা কম থাকে। এবং অবশ্যই, আবিষ্কারের সাথে জড়িত সবাইকে তো আর পেটেন্ট দেয়া হয় না। বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ বিষয়ক একটি সংস্থার আগের পরিচালিত একটি গবেষণা বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, নিজেদের গবেষণার জন্য পেটেন্টের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের সম্ভাবনা পুরুষের তুলনায় অর্ধেক কম। এতে বলা হয় যে, নারীরা পুরুষের মতো তার পণ্যকে বাণিজ্যিক করার বিষয়ে তেমন আগ্রহী নয়। বায়োটেক বা জৈবপ্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বেশি লিঙ্গ সমতা রয়েছে ১৯৯১ সালে, আন সুকামোতো স্টেম সেলগুলি আলাদা করার একটি উপায় তৈরি করেন। তার উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্যান্সারের রোগীদের রক্ত-ব্যবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন ঘটেছিল এবং এটি রোগের প্রতিকার খুঁজে বের করাটাকে সম্ভব করতে যাচ্ছিল। ডাঃ সুকামোতো, যিনি বর্তমানে স্টেম সেল বৃদ্ধির বিষয়ে আরও গবেষণা করছেন, এটি ছাড়াও তিনি আরও সাতটি আবিষ্কারের সহ-পেটেন্টি ছিলেন। জৈবপ্রযুক্তি, ওষুধ এবং খাবারের মতো দরকারি পণ্য তৈরিতে জীবিত প্রাণীর ব্যবহারের গবেষণার খাতটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী আবিষ্কারক জড়িত। প্রায় 53% জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কিত পেটেন্টগুলিতে কমপক্ষে একজন নারী উদ্ভাবক রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে, ফার্মাসিউটিক্যাল সম্পর্কিত পেটেন্টগুলির 52% এর মধ্যে কমপক্ষে একজন মহিলা উদ্ভাবক রয়েছে। এই তালিকার সবচেয়ে নিচে ছিল বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিষয়টি। প্রতি ১০টি পেটেন্ট আবেদনের মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী আবিষ্কারক ছিল। ২০৭০ সাল নাগাদ সমতা গত ২০ বছরে নারী আবিষ্কারকদের পেটেন্ট গ্রহণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আইপিও বলছে, ১৯৯৮ সালে এই হার ৬.৮% থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে এই হার দাঁড়ায় ১২.৭% এ। একই সময়ের মধ্যে, কোন পেটেন্ট আবেদন যাতে অন্তত একজন নারী আবিষ্কারক রয়েছেন, এমন আবেদনের সংখ্যা ১২% থেকে বেড়ে ২১% হয়। মিস গিলবার্ট বলেন, নারীদের শিক্ষাগত এবং পেশাগত পছন্দ নিয়ে যে সাধারণীকরণ প্রচলিত আছে তা দূর করতে হলে নারীদের স্টেম বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা করতে উৎসাহিত করতে হবে। এ বিষয়ে নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ বাড়াতে হবে এবং নারী রোল মডেল তৈরি হলে তার যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে। "আমাদের এই বিষয়টির প্রশংসা করতে হবে যে, ইতিহাসে মহান কিছু বিজ্ঞানী এবং আবিষ্কারক নারী ছিলেন-ম্যারি কুরি এবং রোলিন্দ ফ্রাঙ্কলিন থেকে শুরু করে গ্রেস হপার যিনি প্রোগ্রামিং আবিষ্কার করেছিলেন তিনি এবং কেবলারের আবিষ্কারক স্টিফানি কোলেকের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য," তিনি বলেন। "আমাদের উচিত তাদের গল্পগুলো সামনে নিয়ে আসা।" তালিকার শীর্ষে রাশিয়া ১৯৯৮ সালে যেখানে ৮% ছিল তা থেকে ২০১৭ সালে ১১% এ এসে ঠেকেছে এবং যদিও যুক্তরাজ্যে নারী আবিষ্কারকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু অনেক দেশই আসলে এদিক থেকে যুক্তরাজ্যের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। গত ২০ বছর ধরে জমা পড়া পেটেন্ট আবেদনগুলোর মধ্যে ১৭% আবেদনে অন্তত এক জন নারী থাকায় এই তালিকায় সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি নারী আবিষ্কারক রয়েছেন। এই তালিকার ১০টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান রয়েছে ফ্রান্স। এর ঠিক বিপরীতে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি ২০টি পেটেন্ট আবেদনের মধ্যে একটিরও কম আবেদনে নারী আবিষ্কারক জড়িত থাকার তথ্য জানা যায়। কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল? সাধারণত পেটেন্ট আবেদনে আবিষ্কারকের লিঙ্গের উল্লেখ থাকে না।তাই আইপিও আবেদনে আবিষ্কারকের নামের প্রথম অংশ থেকে লিঙ্গ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এর জন্য ইউরোপীয় পেটেন্ট অফিস যা বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর পেটেন্টের পরিসংখ্যানগত তথ্য রাখে তাদের সহায়তা নেয়। আবিষ্কারকের নামের সাথে তার লিঙ্গের মিল রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয় যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর এবং মার্কিন সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের কাছ থেকে জন্ম বিষয়ক তথ্য থেকে। এসব তথ্যে জন্ম নেয়া শিশুর নাম, ছেলে এবং মেয়ে শিশুর সংখ্যার উল্লেখ থাকে। এছাড়া একই সাথে ফেসবুক প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে নামের সাথে লিঙ্গের মিল কতটা থাকে তা থেকেও তথ্য ও সহায়তা নেয়া হয় বড় তথ্য তালিকা তৈরির সময়। এক্ষেত্রে সেসব নামই নেয়া হয়েছে যেগুলো ৯৫% ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে ব্যক্তির লিঙ্গ নিশ্চিত করে। ছেলে বা মেয়ে যে কারো হতে পারে এমন নাম যেমন 'রবিন' তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ৭৫% ক্ষেত্রে নামের সাথে লিঙ্গের মিল পাওয়া গেছে। যদিও দেশ ভেদে এই সাফল্যের হারে পার্থক্য রয়েছে। ব্যবহৃত নামের তালিকা গুলোতে পশ্চিমা নামের দিকে ঝোঁক বেশি ছিল, যার কারণে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে সফলতার হার সবচেয়ে বেশি, যেখানে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনে এই হার সবচেয়ে কম। ১০০ নারী কী? বিবিসি ১০০ নারীর নামের তালিকায় প্রতি বছর বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী এবং অনুপ্রেরণায়ময় নারীর নাম এবং তাদের গল্প প্রকাশ করা হয়। #100Women এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে এই তালিকা পাওয়া সম্ভব। ভিডিও দেখুন: বাংলাদেশে বিজ্ঞান চর্চায় নারীদের যত চ্যালেঞ্জ বিজ্ঞান চর্চায় কতটা আগ্রহী নারীরা বিবিসি বাংলার অন্যন্য খবর: নতুন সৌদির ক্ষমতাধর নেতা এমবিএস লোকটি কেমন? সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার যত সুফল এবং কুফল নারীবিদ্বেষ ও বর্ণবাদ: গান্ধীর যতো বিতর্কিত দিক | It's easy to list some of the many everyday items invented and patented by women - the dishwasher, windscreen wipers, the board game Monopoly, to name but a few - but the world is still failing to take full advantage of women's innovative ideas, a report suggests. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | প্রচুর সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়ে থাকেন ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে। তারা বলছেন, এরা মূলত দীর্ঘ সময় ধরে করা কাজের অতিরিক্ত চাপ থেকে অবসাদজনিত কারণে মারা গেছেন। দেশটির নির্বাচন কমিশন কেপিইউর একজন কর্মকর্তা ও মুখপাত্র আরিফ প্রিও সুসান্ত বলেছেন, কাজের চাপে তাদের আরো ১,৮৭৮ জন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭ই এপ্রিল। এই ভোট গণনা ও নজরদারিতে সাহায্য করছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। অত্যন্ত গরমের মধ্যে তাদেরকে সারা রাত ধরে কাজ করতে হচ্ছে। ২৬ কোটি মানুষের এই দেশটিতে এবারই প্রথমবারের মতো একসাথে প্রেসিডেন্ট, জাতীয় সাধারণ ও আঞ্চলিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। অর্থ সাশ্রয়ের লক্ষ্যেই এসব নির্বাচন এবার একসাথে আয়োজন করা হয়। ভোটারের সংখ্যা ১৯ কোটিরও বেশি। আর ভোট কেন্দ্র ছিল আট লাখেরও বেশি। নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটারদেরও ৮০ শতাংশেরও বেশি এবারের নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। বলা হচ্ছে, নির্বাচনী কাজের এসব কর্মীদের বেশিরভাগই অস্থায়ী কর্মী। ভোটারের সংখ্যা ১৯ কোটিরও বেশি। আর ভোট কেন্দ্র ছিল আট লাখেরও বেশি। আরো পড়তে পারেন: ইহুদিবিদ্বেষী খোলা চিঠির পর সিনাগগে বন্দুক হামলা হাত না থেকেও জিতে নিল হাতের লেখা প্রতিযোগিতা কতদিন থাকবে দাবদাহ, যা বলছে আবহাওয়া অফিস যে ব্যক্তিকে ছয় বছর বয়স থেকে আটকে রেখেছে চীন নির্বাচন কমিশন কেপিইউর মুখপাত্র বলছেন, তাদের মধ্যে ২৭২ জন মারা গেছে এবং অতিরিক্ত পরিমাণ কাজ-জনিত অসুস্থতাই তাদের মৃত্যুর কারণ। নিহত এসব কর্মীর পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। বলা হচ্ছে, এর পরিমাণ হতে পারে পরিবার-প্রতি দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার ডলার। এই অর্থ একজন কর্মীর এক বছরের সর্বনিম্ন মজুরির সমান। সমালোচকরা বলছেন, সবগুলো নির্বাচন একসাথে করে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়নি সরকার। তারা বলছেন এতো বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্যে প্রয়োজনীয় লোকবলও কর্তৃপক্ষের ছিল না। এখনও ভোট গণনা শেষ হয়নি। নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ করে তারা আগামী ২২শে ফলাফল ঘোষণা করবেন। তবে তার আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রাবোভো সুবিয়ান্তো দুজনেই নিজেদেরকে বিজয়ী হিসেবে দাবি করছেন। | More than 270 election workers in Indonesia have died, mostly of fatigue-related illnesses caused by long hours of work counting millions of ballot papers by hand, an official says. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | উজ্জল লাল রঙয়ের এই আপেলটি রংয়ের কারণে ইনস্টাগ্রামেও জনপ্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে দুই দশক যাবত এই আপেলের জাতটি নিয়ে গবেষণা করার পর আপেলটি ব্যবসায়িকভাবে ওয়াশিংটন রাজ্যের কৃষকদের চাষ করার জন্য অনুমতি দেয়া হচ্ছে। শুধু ওয়াশিংটনের কৃষকরা আগামী দশ বছর এই জাতের আপেল চাষ করতে পারবে। ১৯৯৭ সালে ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি গবেষণামূলকভাবে এই আপেলটি প্রথমবার চাষ করে। নতুন ধরণের এই আপেলের চাষ ব্যবসায়িকভাবে শুরু করতে ১ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। আরো পড়ুন: বাঙালিদের কেন আপেল-স্ট্রবেরি না খেলেও চলবে? ৭০ দিন পর কাশ্মীরে ফের চালু হচ্ছে মোবাইল ফোন ধর্ষণকারী কোন ধর্মের, ভারতে বিতর্ক যখন তা নিয়ে কসমিক ক্রিস্প নামের এই আপেলের জাতটি হানি ক্রিস্প ও এন্টারপ্রাইজ, এই দুই ধরণের আপেলের সংমিশ্রণ। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এই আপেলটির চাষ ও বংশবৃদ্ধি বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করা একজন গবেষক কেট ইভান্স জানান এই আপেল ফ্রিজে থাকলে ১০ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত খাওয়ার যোগ্য থাকে এবং আপেলের স্বাদ ও অন্যান্য গুণাগুণও অক্ষুন্ন থাকে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখের বেশি কসমিক ক্রিস্প আপেলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং কঠোর লাইসেন্সিং পদ্ধতি দিয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ওয়াশিংটন বাদে দেশের অন্যান্য এলাকার কৃষকরা যেন এই জাতের আপেল চাষ করতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আপেল হয় ওয়াশিংটনে। ঐ এলাকার অন্যতম জনপ্রিয় আপেলের জাত গোল্ডেন ডেলিশাস এবং রেড ডেলিশাস। তবে সম্প্রতি পিঙ্ক লেডি ও রয়্যাল গালা জাতের আপেলও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কলার পর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ফল আপেল। বিবিসি বাংলার আরো খবর: আপেল থেকে তৈরি কৃত্রিম কান | A new breed of apple that took two decades to develop and allegedly lasts for up to a year in the fridge goes on sale in the US on Sunday. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন (এটি ২০১৭ সালের আলোচনার ছবি)। এই পুঙ্গি রি কেন্দ্র থেকে ২০০৬ সালের পর কমপক্ষে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ পরীক্ষার পর পুঙ্গি রি কেন্দ্রে পরপর অনেকগুলো ঘাত বা পরাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল। ভূতাত্ত্বিকেরা বিশ্বাস করেন যে পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে থাকা পাহাড়ের ভেতরের একাংশ ধসে পড়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছিল। চীনা বিজ্ঞানীরা এমন এক সময় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের অবস্থা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করলেন, যখন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঐতিহাসিক বৈঠকের আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন পারমাণবিক পরীক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে চীনা বিজ্ঞানীরা আশংকার ভিত্তি হিসেবে তাদের গবেষণার কথা বলছেন। তারা বলেছেন, সেপ্টেম্বরে পারমাণবিক পরীক্ষার সাড়ে আট মিনিট পরই পুঙ্গি রি কেন্দ্রের দিকে একটি স্থাপনা ধসে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্ব পাহাড়ী অঞ্চলে এই পরীক্ষা কেন্দ্রটির অবস্থান। সেখানে পাহাড়ের নীচে সুড়ঙ্গ কেটে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হতো। তবে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার এটিই কী কারণ, না-কি দেশটির কৌশলগত অনেক চিন্তা রয়েছে? এ নিয়ে অবশ্য অনেক আলোচনা চলছে। কিম জং-উন ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি তদারকি করছেন চীনা গবেষক দলের প্রধান ওয়েন লিয়ানজিং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, তাদের গবেষণার ভিত্তিতে প্রকাশিত নিবন্ধে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রটির উপযোগিতা বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তারা দেননি। তারা মনে করছেন, ধসের পর পরীক্ষা কেন্দ্রটি থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে কি-না, তা পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার পর একটি ভূকম্পন রেকর্ড করেছিল। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণার পিছনে অন্য কোন কারণ কি থাকতে পারে? উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মনে করেন, তাঁর দেশ পারমানবিক অস্ত্র্র তৈরিতে বিশ্বে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে। তবে এখন যে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈঠককে কেন্দ্র করে তিনি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে উত্তর কোরিয়া রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলে তিনি আশা করছেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, উত্তর কোরিয়া বিশ্বে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে, তবে এখন দু'টি ঐতিহাসিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশটি সেই অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক শুরু হয়েছে গুজরাতের হাজার হাজার কৃষক কেন স্বেচ্ছামৃত্যু চান? | Chinese scientists have concluded that North Korea's nuclear test site has partially collapsed, potentially rendering it unusable. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | এই প্রপাগান্ডা লাইব্রেরিতে আছে হাজার হাজার দলিল, ছবি এবং ভিডিও এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে আছে ৯০ হাজারের বেশি আইটেম। প্রতিমাসে প্রায় ১০,০০০ মানুষ এই ডিজিটাল লাইব্রেরির সাইটে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেটে যেন ক্রমাগত চরমপন্থী মতাদর্শের নানা বিষয় দেয়া যায়, এই লাইব্রেরি যেন সেই উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। কিন্তু এই লাইব্রেরিটি বন্ধ করা যাচ্ছে না, কারণ এর তথ্য কোন একটি জায়গায় সংরক্ষিত নয়। ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস-বিরোধী কর্তৃপক্ষকে এই অনলাইন লাইব্রেরির ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও এটির কলেবর বেড়েই চলেছে। দু'হাজার উনিশ সালের অক্টোবরে ইসলামিক স্টেটের গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদী নিহত হওয়ার পর প্রথম এই লাইব্রেরির খোঁজ পাওয়া যায়। তখন ইসলামিক স্টেটের সমর্থনে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের নীচে এটির লিংক দেয়া থাকতো। এর ভিত্তিতেই গবেষকরা এই লাইব্রেরির সন্ধান পান। সেখানে নয়টি বিভিন্ন ভাষায় অনেক দলিল এবং ভিডিও রাখা ছিল। ২০০৫ সালে লন্ডনে বোমা হামলার বিষয়ে একটি গ্রাফিক চিত্র এর মধ্যে ছিল অনেক সন্ত্রাসবাদী হামলার বিস্তারিত তথ্য। যেমন, ২০১৭ সালের ২২শে মে ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় হামলা, ২০০৫ সালের ৭ই জুলাই লন্ডনে হামলা এবং ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ঘটনা। আইএসডির ডেপুটি ডিরেক্টর মোস্তাফা আইয়াদ, যিনি এই লাইব্রেরির সন্ধান পান, তিনি বলেন, "একটা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার জন্য যেসব বিষয় জানা দরকার, তার সবই সেখানে আছে। কীভাবে একজন ভালো সন্ত্রাসবাদী হতে হবে, তা শেখানোর সব কিছুই সেখানে আছে।" আইএসডি এই লাইব্রেরির নাম দেয় 'ক্যালিফেট ক্যাশে' বা খেলাফতের গুপ্ত ভান্ডার। আইএসডির গবেষকরা কয়েকমাস ধরে এটির ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তারা বোঝার চেষ্টা করেছেন কিভাবে এটি তৈরি হয়েছে, কারা কীভাবে এটি চালায় এবং কারা এই সাইটে আসে। এই লাইব্রেরির তথ্য একটি কম্পিউটার সার্ভারে রাখা হয়নি। সব তথ্য ছড়ানো আছে এক বিকেন্দ্রীকৃত ব্যবস্থায়। যে কেউ অনলাইনে এগুলো শেয়ার করতে পারে বিভিন্ন জায়গায় রাখা সার্ভারের মাধ্যমে। যার ফলে এই সাইটটি বন্ধ করা সহজ নয়। এই অনলাইন তথ্যভান্ডারের সংগ্রহ বেড়েই চলেছে ইসলামিক স্টেটের এই তথ্য ভান্ডার যতক্ষণ অনলাইনে আছে, ততক্ষণ তার নতুন নুতন জিনিস দিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। পপ সঙ্গীত তারকা ইসলামিক স্টেটের এসব বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট পেজেও যুক্ত করা হয়। বট একাউন্টের (স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম) মাধ্যমে এগুলি ছড়িয়ে দেয়া হয়। তাদের আরেকটি কৌশল হচ্ছে সেলিব্রেটি এবং নামকরা অ্যাথলীটদের টুইটার একাউন্ট টার্গেট করা। আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায় কোথায় এখনও তৎপর ইসলামিক স্টেট আইএস'এর বিদেশি যোদ্ধাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে কারা? ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান ঘটছে ইরাকে? যেমন পপ তারকা জাস্টিন বিবারের এক ভক্তের একাউন্ট হাইজ্যাক করে ইসলামিক স্টেট। এরপর তারা এই একাউন্ট ব্যবহার করে তাদের লাইব্রেরির জিনিসপত্র প্রচার করে। আরেক ঘটনায় ইসলামিক স্টেট এমন এক একাউন্ট তৈরি করে যেটি মনে হচ্ছে যেন ইংলিশ রাগবি দলের এক সমর্থকের একাউন্ট। এরপর তারা ইংলিশ রাগবি টিমের একাউন্টকে তাদের একাউন্টের ফলোয়ার বানাতে সক্ষম হয়। তবে ইসলামিক স্টেটের লাইব্রেরির সব জিনিস যে সহিংসতায় ভরা তা নয়। সেখানে ইসলামিক স্টেটের দর্শন, ধর্মীয় নানা বই আছে। ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠিত হলে সেটি দেখতে কেমন হবে, তার প্রপাগান্ডামূলক অনেক বিষয়ও রাখা আছে। গবেষকরা বলছেন, শামীমা বেগমের মতো যেসব মেয়ে পালিয়ে গিয়ে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গীদের বধু হয়েছে. তারা হয়তো এসব দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে। পপ তারকা জাস্টিন বিবারের এক ভক্তের টুইটার একাউন্ট হ্যাক করে এই ভিডিও পোস্ট করা হয় তবে ইসলামিক স্টেটের এই ডিজিটাল লাইব্রেরিতে যারা আকৃষ্ট হয়েছে তাদের বেশিরভাগ আসলে ১৮-২৪ বছর বয়সী আরব পুরুষ। এই সাইটে বেশিরভাগ ট্রাফিক এসেছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, বিশেষ করে ইউটিউব থেকে। আইএসডি তাদের গবেষণায় দেখেছে, ইসলামিক স্টেটের এরকম গোপন তথ্যভান্ডার অভিনব কিছু নয়। অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চরমপন্থী গোষ্ঠীরও একই ধরণের ছোট ছোট তথ্য ভান্ডার আছে। এরাও বিকেন্দ্রীকৃত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এর জন্যে। গবেষকরা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিসকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষকেও তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং স্পেশালিস্ট অফিসাররা এখন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছেন। | One of the largest collections of online material belonging to the group calling itself Islamic State has been discovered by researchers at the Institute of Strategic Dialogue (ISD). |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে তারা এই প্রস্তাব খোলা মনেই যাচাই করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরও যেসব সুবিধা ব্রিটেন নিতে চায় সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড টুস্কসহ ওই অঞ্চলের আরও বেশ কিছু নেতা। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে যা আছে বরিস জনসনের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ব্রেক্সিটের পরও উত্তর আয়ারল্যান্ড খাদ্য, শিল্পজাত পণ্য ও পশু সম্পদের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার ব্যবস্থার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের অন্য অংশের মতোই তারা শুল্ক ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবে। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমানার কী হবে সেটি আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বরিস জনসনের প্রস্তাব হল উত্তর আয়ারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ থাকতে চায় কিনা সে ব্যাপারে সেখানকার সংসদের, প্রতি চার বছর পরপর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকবে। বরিস জনসন ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ইইউ ছেড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার নতুন প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও তিনি বলছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে তাতে ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বরিস জনসন বলেছেন ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে নতুন সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই ইইউ কর্তৃপক্ষের সাথে দ্বিমত ঘোচাতে তিনি সত্যিকার অর্থেই চেষ্টা করেছেন। আরো পড়ুন: বরিস জনসন: ব্রিটেনের বিতর্কিত নতুন প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট: এরপর কী হতে পারে? প্রধানমন্ত্রী জনসন এই তারিখের আগেই ইইউ ছেড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করলেও যুক্তরাজ্যের এমপিরা পার্লামেন্টে এমন আইন পাশ করে ফেলতে পারেন যার ফলে তাকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে দেরি করতে হতে পারেন। যদি না তার আগেই তিনি সফল একটি চুক্তি করতে পারেন। যুক্তরাজ্য সরকার বলছে তারা ১৭ই অক্টোবরের মধ্যে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌছাতে চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা যা বলছেন ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা ইতিমধ্যেই বরিস জনসনের পরিকল্পনায় সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমানার বিষয়টি সমাধান করতে না পারা। তারা ইইউ একক ব্যাজার ব্যবস্থার জন্যেও হুমকি দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ব্রেক্সিট নিয়ে বিভক্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় লিখেছেন তিনি আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, "বরিস জনসনের প্রতি আমার বার্তা হল, আমরা প্রস্তাব খোলা মনেই যাচাই করবো কিন্তু সন্তুষ্ট নই।" ইইউ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীরা এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যাঁ ক্লদ জাংকার বলেছেন, যুক্তরাজ্যে চুক্তির ব্যাপারে বেশ এগোলেও আরও অনেক কাজ বাকি। এই মুহূর্তে বরিস জনসনের প্রস্তাব মানার বিপক্ষে তিনি। আর ইইউ ব্রেক্সিট বিষয়ক সমন্বয়ক গাই ভারহফস্টাডা সরাসরি বলেছেন এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। ইইউ পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট কমিটি বলেছে আগে যা কথা হয়েছে নতুন পরিকল্পনা তার ধারে কাছেও নেই। অন্যান্য খবর: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া যেভাবে বদলে দিচ্ছে জীবন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে ভারতের ট্রেন | European Council President Donald Tusk has hinted that the UK should stay in the EU, after the prime minister's Brexit deal was rejected in parliament. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | শেখ আহমেদ আল তায়েব ২০১০ সাল থেকে মিশরের আল আজহার এর প্রধান ইমাম হিসেবে রয়েছেন। এই প্রধান ইমাম বা গ্র্যান্ড ইমাম হচ্ছেন শেখ আহমেদ আল-তাইয়েব। তাঁকে সেখানে সুন্নী ইসলামের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেছেন, কোরান সঠিকভাবে না বুঝে প্রায়শই এই বহুবিবাহের বিষয়টি অনুশীলন করা হয়। তিনি তাঁর সাপ্তাহিক টেলিভিশন আনুষ্ঠানে এই ফতোয়া দেন। পরে তিনি টুইটারেও একই বক্তব্য তুলে ধরেন। তাঁর এই ফতোয়া নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মিশরে সেই বিতর্কের মুখে আল আজহার নামের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেয়। সেই ব্যাখ্যায় বলা হয়, প্রধান ইমাম বহুবিবাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। তিনি বিবাহ নিয়ে ভুল অনুশীলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। একইসাথে বিতর্কের মুখে শেখ আহমেদ আল-তায়েবও তাঁর বক্তব্য থেকে সরে আসেননি। আরও পড়ুন: কাদের চোখ খুলেছেন, তবে পুরোপুরি শঙ্কা মুক্ত নন ইমরান বনাম মোদী: কৌশলের লড়াইতে জিতলেন কে? 'মুসলিম বিরোধী পোস্টার':ক্ষুব্ধ মার্কিন কংগ্রেস সদস্য তিনি তাঁর নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বলেছেন যে, একটি বিবাহ করাই ছিল নিয়ম এবং বহু বিবাহ হচ্ছে ব্যতিক্রম। তিনি আরও বলেছেন, যারা স্ত্রী থাকা সত্বেও বহুবিবাহের পক্ষে থাকেন বা সেটাকেই নিয়ম মনে করেন, তারা সকলেই ভুল। বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে মিশরের এই ইমাম কোরান থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, "একজন মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন। কিন্তু তাকে একাধিক স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য ন্যায্যতার শর্ত মেনে চলতে হবে।যদি সেই ন্যায্যতা না থাকে, তাহলে একাধিক স্ত্রী বা বহুবিবাহ নিষিদ্ধ।" তিনি মনে করেন, একাধিক স্ত্রী রেখে ন্যায্যতা রাখা সম্ভব নয়। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংস্কারের যে আন্দোলন, তাকে সমর্থন করেন মিশরের এই ইমাম। টুইটারে তিনি বলেছেন, "সমাজের অর্ধেক নারী। ফলে তারাই সমাজের অর্ধেকের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা যদি তাদের যত্ন বা সন্মান না করি, তাহলে এটি কেবল এক পায়ে হেঁটে যাওয়া।" মিশরে নারীদের জন্য যে জাতয়ি কাউন্সিল রয়েছে, তারা এই ইমামের বক্তব্যের ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। | The grand imam of Egypt's top Islamic institution, al-Azhar, has said polygamy can be an "injustice for women and children". |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্লাজমা থেরাপির চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের রক্ত থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্লাজমা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রেই এর মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি মানুষের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ৩৫ শতাংশ কমতে পারে। এর একদিন আগেই এফডিএ-র বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টিকার অবমুক্তি আর চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দেয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ করেছিলেন। হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয় দফার দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার আগে আগে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনের আগের দিন এই ঘোষণা এলো। রবিবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ''অনেক দিন ধরে এটি আমি চাইছিলাম। চীনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এরকম একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে পেরে আমি আনন্দিত, এটি আমাদের অসংখ্য জীবন বাঁচাবে।'' একে একটি শক্তিশালী পদ্ধতি বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে কোভিড-১৯ থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন, তাদের প্লাজমা দান করতে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান। খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) বলছে, প্রাথমিক গবেষণা দেখা যাচ্ছে যে, হাসপাতালে ভর্তির প্রথম তিনদিনের মধ্যে রক্তের প্লাজমা দিতে পারলে সেটি মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে পারছে এবং রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক কয়েক মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, এটি একটি নিরাপদ পদ্ধতি। যেকোনো ঝুঁকির তুলনায় এর উপকারিতা অনেক বেশি বলে তারা জানিয়েছে। ''দেখা যাচ্ছে এটা একটা নিরাপদ পদ্ধতি। আমাদের এ নিয়ে কোন আপত্তি নেই এবং নিরাপত্তার ইস্যুতে এখানে আমরা কোন ঝুঁকি দেখছি না,'' রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন এফডিএ-র জীববিজ্ঞান মূল্যায়ন এবং গবেষণা বিভাগের পরিচালক পিটার মার্কস। তবে হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফাউচির মতো বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর রক্ত যেভাবে অন্যদের বাঁচাতে পারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর রক্ত দিয়ে চিকিৎসার পরিকল্পনা করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কীভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি? 'প্লাজমা থেরাপি' নিয়ে বাংলাদেশে কী হচ্ছে, 'প্রটোকল' কী বলছে 'কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি'র সাফল্য নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই কয়েকটি শর্ত মেনে করোনাভাইরাস রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে এফডিএ। বিশেষ করে যারা গুরুতর অসুস্থ অথবা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নিতে চান তাদের ক্ষেত্রে। এ বছরের শুরুর দিকে গিলেড সাইন্স কোম্পানিকে করোনাভাইরাস রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। এদিকে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেসরা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকার জরুরি অনুমোদন দেয়ার কথা ভাবছে হোয়াইট হাউজ। ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউজ। তবে অ্যাস্ট্রোজেনেকার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বছরের শেষদিক ছাড়া এই টিকার কার্যকর ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এন্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রেই এক লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে। পৃথিবীতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট লাখের বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জন আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৩,৯৪১ জন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: করোনাভাইারসের টিকা তৈরিতে কেন এই প্রতিযোগিতা হজমশক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় কী কী? বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গায় যেভাবে থাকে মানুষ সামাজিক মাধ্যমে নারী ও শিশুদের ছবিতে কারা, কেন খারাপ মন্তব্য করে? | The US Food and Drug Administration (FDA) has given emergency authorisation to use plasma to treat Covid patients. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | আমেরিকায় ফেস মাস্ক পরার নতুন স্বাস্থ্য বিধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে মাস্ক পরার বিরুদ্ধে আমেরিকার অনেক জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। এমনকি মাস্ক না পরার জন্য ভুয়া ছাড়পত্রও বাজারে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। বিবিসির রিয়ালিটি চেক বিভাগ মাস্ক নিয়ে নানাধরনের দাবির সত্যতা যাচাই করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ফেস মাস্ক না পরার ভুয়া ছাড়পত্র কোভিড-১৯-এর বিস্তার ঠেকাতে আমেরিকায় মাস্ক পরার বিরোধী যারা তারা প্রকাশ্য জনসভা এবং সামাজিক মাধ্যমে মাস্কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। যেসব রাজ্যে দোকানের ভেতর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেখানে মাস্ক প্রতিহত করতে উদ্যোগী মানুষের ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। আমেরিকার বিচার বিভাগ এক বিবৃতি জারি করে বলেছে কেউ কেউ প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক পরার নিয়ম থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে যে ছাড়পত্র দেখাচ্ছে তা "জাল করা কার্ড"। ফেস মাস্ক না পরার জন্য ''ভুয়া ছাড়পত্র'' বাজারে যে কার্ড বিক্রি করা হচ্ছে তাতে লেখা আছে "আমাকে ফেস মাস্ক পরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে" এবং আরও বলা হচ্ছে "আমেরিকার ডিসেবিলিটি আইনের অধীনে, আমি আমার অক্ষমতার বিস্তারিত প্রকাশ করতে বাধ্য নই।" জাল ছাড়পত্রের একটি ভার্সানে এমনকি বিচার বিভাগের সিলমোহরও দেয়া হয়েছে এবং "ফ্রিডম টু ব্রিদ এজেন্সি" নামে নি:শ্বাস নেবার অধিকার সংক্রান্ত একটি সংস্থার লিংকও জুড়ে দেয়া হয়েছে। কার্ডে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছে যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাউকে জোর করে মাস্ক পরতে বাধ্য করলে তথাকথিত এই সংস্থার কাছে সেই দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে। কিন্তু বিবিসি জেনেছে এই কার্ড ভুয়া। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে: "এই কার্ডের কোন আইনপ্রয়োগকারী ক্ষমতা নেই। 'ফ্রিডম টু ব্রিদ এজেন্সি' নামে সরকারের কোন সংস্থা নেই।" একটি তথ্য অনুসন্ধান সংস্থা জানাচ্ছে ফ্রিডম টু ব্রিদ এজেন্সি একটি ফেসবুক গ্রুপ যারা নিজেদের পরিচয় দিয়েছে এই বলে যে তারা "আমেরিকান নাগরিকের স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তা রক্ষায় নিবেদিত একটি গর্বিত আন্দোলন গোষ্ঠী"। মাস্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে? এরই মধ্যে মাস্ক পরার গুণাগুণ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়াচ্ছে নানা ধরনের খবর। একটি গ্রাফিক চিত্র সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হয়েছে কয়েক হাজার বার। এতে রয়েছে বিভ্রান্তিকর দাবি। এতে তুলে ধরা হয়েছে আপনি ফেস মাস্ক পরলে আপনার কী হতে পারে? ইনস্টাগ্রামে আবার এটি ভুয়া বলেও পোস্টিং দেয়া হয়েছে। বিভ্রান্তিমূলক গ্রাফিক্স চিত্র দিয়ে দাবি করা হয়েছে ফেস মাস্ক কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে এমনকি তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে দমিয়ে রাখে। অবশ্যই এর স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ নেই বলে বিবিসির তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ এ ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট। শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়া যায় এমন জিনিস দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক যদি ঠিকমত পরা হয় তা শরীরের জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না। তাদের নির্দেশনা হল: "মেডিকেল মাস্ক যদি ঠিকমত পরা হয়, তাহলে দীর্ঘ সময় পরে থাকলেও তার থেকে কোন কার্বন ডাই অক্সাইড বিষক্রিয়া বা অক্সিজেন ঘাটতি হবে না।" সামাজিক মাধ্যমে এইসব পোস্টে দাবি করা হচ্ছে মাস্ক শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে চেপে রাখে। এর সমর্থনে যদিও কোন তথ্য প্রমাণ বিবিসি পায়নি। সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ কিথ নিয়েল বরং বলছেন, "মাস্ক পরলে জীবাণু আপনার মুখ ও নাক দিয়ে শরীরে ঢুকবে না। আর জীবাণু শরীরে না ঢুকলে আপনার রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ারও সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রয়োজন হবে না। তবে মাস্ক পরার অর্থ এই নয় যে মাস্ক আপনার শরীরে এই ব্যবস্থাকে অকেজো করে দিচ্ছে।" বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে এই তথ্য শেয়ার করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে একটি দাবি করছে তাদের নাম "ন্যাচারাল মেডিসিন ডেটাবেস" এবং তাদের অনুসারীর সংখ্যা ৭০ হাজার। আর একটি অ্যাকাউন্ট থেকে রুশ ভাষায় এর একটি সংস্করণ পোস্ট করে নানাধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে। মাস্কের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণাই চালানো হচ্ছে মিমের মাধ্যমে যেখানে মাস্ক নিয়ে চলছে ঠাট্টা মস্করা। বিবিসি বাংলায় পড়তে পারেন: এবার মাস্ক নিয়ে সুর পাল্টালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প মাস্ক পরা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন পরামর্শ মাস্ক পরে কি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়? ল্যাবে পুরো করোনা সুরক্ষা পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে নিয়ে মিম । টেকস্টে লেখা : ''ভাইরোলজিস্টরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এমন পোশাকই পরেন। তবে আপনার মুখে কাপড় বাঁধলেও চলবে।'' ল্যাবে ভাইরোলজিস্টের দরকার সুরক্ষা পোশাক আর আপনার দরকার শুধু কাপড় বা রুমাল - ভাইরাল হওয়া উপরের এই মিমের একটি ভার্সান প্রথমদিকে পোস্ট করা হয়েছিল কিউ-অ্যানন নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে, যেটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ট্রাম্প জুনিয়ার পুনর্বার পোস্ট করেছিলেন। তার পোস্টিংয়ে শেয়ার বা লাইক পড়েছিল এক লাখের ওপর। তবে মজার ব্যাপার হল আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সিডিসি করোনার বিস্তার ঠেকাতে মানুষকে পরামর্শ দিয়েছে মুখ ঢাকার জন্য যে কোন কাপড় এমনকি রুমাল ব্যবহারেরও।। 'একজন ডাক্তারের স্বীকারোক্তি ' শিরোনামে ড্যারেল উলফের ভিডিওর স্ক্রিনশট 'ডাক্তারের স্বীকারোক্তি'র ভিডিও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক-এ 'একজন ডাক্তারের স্বীকারোক্তি' নাম একটি ভিডিও ১৫ লক্ষ মানুষ দেখেছে। এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে ওই ডাক্তার স্বীকার করছেন করোনাভাইরাস আক্রান্তের হিসাব বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এত বিশাল হবার কারণ হল, যেই হাসপাতালে যাচ্ছে, তা ভাঙা পা নিয়ে হোক বা বুলেটের জখম নিয়ে হোক- "লিখে দেয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তি করোনা পজিটিভ"। যে ব্যক্তিকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তার নাম ড্যারেল উলফ, তিনি থাকেন কানাডায়। তিনি বলেছেন তিনি "প্রাকৃতিক ওষুধের" চিকিৎসায় কাজ করেন। তার ভিডিও প্রথম পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। সেখানে এর ভিউ ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার। ভিডিওতে স্থানীয় একটি হাসপাতালের কথা বর্ণনা করা হয় এবং তিনি বলেন এই "তথ্য সরাসরি একজন ডাক্তারের দেয়া"। তিনি কোন্ হাসপাতালের কথা বলেছেন তা স্পষ্ট নয়। বিবিসি বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে কোন উত্তর পায়নি। টিকটকের যে অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয় তাতে ভিডিওতে কে কথা বলছেন তা বলা হয়নি। যে হাজার হাজার মানুষ ভিডিওটি দেখে মন্তব্য করেছেন তারা স্পষ্টতই ধরে নিয়েছেন আমেরিকার কোন হাসপাতাল সম্পর্কে এই বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তবে আমেরিকা অথবা কানাডার কোন হাসপাতালে যে কোন রোগীকেই করোনা পজিটিভ বলে নথিভুক্ত করার কোন তথ্য বিবিসি পায়নি। দুটি দেশেই করোনা পজিটিভ রোগীর তথ্য নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। অন্য যে কোন রোগ বা আঘাত নিয়ে কেউ হাসপাতালে গেলে তাকে করোনা রোগী হিসাবে নথিভুক্ত করার স্বপক্ষে কোন নজির দুটি দেশের কোন হাসপাতালেই পাওয়া যায়নি। ইউটিউবের ভিডিও-র স্ক্রিনশট যেখানে বলা হচ্ছে এই মহামারি পরিকল্পিত। বিবিসির অনুসন্ধানের এর পক্ষে কোন "তথ্য প্রমাণ নেই"। 'গভীর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিও যা দেখেছে সাড়ে সাত লাখ মানুষ তাতে এই মহামারিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে "গণমাধ্যমের ব্যাপক বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা" এবং "রাজনৈতিক ভাঁওতা" হিসাবে। এই ভিডিওতে নানা ধরনের ভিত্তিহীন দাবি তুলে ধরা হয়েছে যেখানে আমেরিকায় নির্বাচনের বছরে একটা মহামারি তৈরি করার গভীর ষড়যন্ত্রের গল্প বলা হয়েছে। শুরুতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফুটেজ আর ধোঁয়ায় আছন্ন আকাশ দিয়ে একটা ভয়ার্ত আসন্ন দুর্যোগের আবহ তৈরি করা হয়েছে - অনেকটা ঘরে তৈরি নেটফ্লিক্স তথ্যচিত্রের ধাঁচে। ভিডিওতে মানুষকে বলা হচ্ছে "মাস্ক খুলে ফেলে দাও"। ভাষ্যকার বলছে ডেমোক্রাটিক রাজনীতিকরা ইচ্ছে করে মাস্ক পরিয়ে মানুষের ক্ষতি করতে চাইছে, যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ে আর মহামারি নিয়ে তৈরি হয় বিশাল একটা আতঙ্ক। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন বিবিসি রিয়ালিটি চেকের জ্যাক গুডম্যান, তাকে সহযোগিতা করেছেন অলগা রবিনসন এবংয় শায়ান সারদারিজাদেহ। | As some parts of the United States battle a surge in coronavirus cases, misleading posts and videos have been spreading on social media. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | স্যাটেলাই থেকে তোলা পুঙ্গেরি পরমাণু কেন্দ্রের ছবি, ২০১৩ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারিতে তোলা একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন পুঙ্গেরি নামের এই কেন্দ্রটি প্রকাশ্যে বন্ধ করা হবে। এটি প্রত্যক্ষ করতে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরমাণু পরীক্ষার এই কেন্দ্রটি গত সেপ্টেম্বর মাসেই হয়তো আংশিক বন্ধ করে দেওয়া হযেছে। গত শুক্রবারই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন তাদের ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু-মুক্ত করার ঘোষণা দেন। পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কয়েক মাসের বাগযুদ্ধের পর দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকদিন আগেও এরকম একটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অকল্পনীয়। শুধু তাই নয়, আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথেও কিম জং-আনের বৈঠক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কী বলেছে দক্ষিণ কোরিয়া? দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র উন ইয়ং-চ্যান বলেছেন, মি. কিম জানিয়েছেন যে তিনি এই 'মে মাসেই দেশটির পরমাণু পরীক্ষার কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেবেন।' তিনি জানান, এই কাজটি স্বচ্ছতার সাথে করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার নেতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমনকি তিনি এসময় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানোর কথাও বলেছেন। আরো পড়তে পারেন: রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কি করতে পারে? বাসের চাপায় পা হারানো রোজিনা আর নেই লাইভে হঠাৎ নারী রেসলার, ক্ষমা চাইলো সৌদি কর্তৃপক্ষ চীনে বিভিন্ন শহরজুড়ে কেন বাইসাইকেলের পাহাড়? যে পাঁচ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও বহুকাল চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এও বলা হয়েছে যে উত্তর কোরিয়া তার ঘড়িতে সময়ের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। বর্তমানে দক্ষিণের সাথে সময়ের তফাৎ আধা ঘণ্টা। এখন দুটো দেশের মধ্যে ঘড়ির সময়ও একই করা হচ্ছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে এসব বিষয়ে উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোন মন্তব্য করেনি। পরমাণু কেন্দ্রটি সম্পর্কে কী জানা যায়? উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্বে পাহাড়ি এলাকায় এই পরমাণু কেন্দ্রটি অবস্থিত। ধারণা করা হয় এটিই দেশটির সবচেয়ে বড় পরমাণু স্থাপনা। সেখানে পুঙ্গেরি কেন্দ্রের কাছে মাউন্ট মান্তাপের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বিভিন্ন সময়ে পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়েছে। পরমাণু স্থাপনা ২০০৬ সালের পর থেকে এখানে ছ'টি পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সবশেষ পরীক্ষাটি চালানো হয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। তারপর সেখানে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্প বিশারদদের অনেকে মনে করেন, এর ফলে পাহাড়ের ভেতরে নির্মিত কিছু অবকাঠামো হয়তো ভেঙে পড়েছে। কিন্তু এসব খবর উত্তর কোরিয়ার নেতা অস্বীকার করেছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বার্তা সংস্থা ইওনহ্যাপ জানিয়েছে। "অনেকে বলছেন, আমরা এই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিচ্ছি কারণ এটি নাকি ঠিকমতো কাজ করছে না। কিন্তু আপনারা দেখতে পাবেন যে এটি কতোটা ভালো অবস্থায় রয়েছে," উত্তর কোরিয়ার নেতাকে উদ্ধৃত করে এই কথাটি বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র মি. ইউন। সাধারণত স্যাটেলাইটের সাহায্যে তোলা ছবি দিয়ে এই পরমাণু কেন্দ্রটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেখানে যেসব যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া করা হয় সেগুলোর উপরেও নজর রাখা হয় স্যাটেলাইট থেকে। তৈরি হচ্ছে আস্থা বিবিসি কোরিয়া সংবাদদাতা লরা বিকার বলছেন, কিম জং-আনের এই ঘোষণা আরো একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। ইতোমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন যে তারা পুঙ্গেরি কেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছেন। এবং এখন তিনি বলছেন যে এই কাজটা প্রকাশ্যে সবার উপস্থিতিতে করা হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের লোকজনকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে এই অনুষ্ঠানে। তিনি এও বলেছেন, তিনি যখন দেখেন যে দুই কোরিয়ার ঘড়িতে দুই রকম সময় তিনি খুব কষ্ট পান। এখন তিনি দক্ষিণের ঘড়ির সাথে সময় মিলিয়ে নেওয়ার কথাও বলেছেন। | North Korea's nuclear test site will close in May, the South Korean president's office has said. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ইসরায়েলি আরবদের অভিযোগ তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এক নতুন রিপোর্টে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ইসরায়েল একটি নীতিমালা গ্রহণ করেছে যেখানে তার নাগরিক হলেও ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র যখন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিগত বিভেদকে অনুমোদন করে তা বর্ণবাদ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং একে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে অভিযোগগুলো উদ্ভট এবং বানোয়াট। ফিলিস্তিনিদের চলাচলের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ইসরায়েলের নিন্দা হচ্ছে। সম্পর্কিত খবর: তারা বলছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ''ইসরায়েল-বিরোধী এজেন্ডা'' দীর্ঘদিনের। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২১৩-পৃষ্ঠার ঐ রিপোর্টে তুলে ধরেছে কিভাবে সুপরিকল্পিতভাবে ইসরায়েল দখলকৃত ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে জোর করে বের করে দেয়া, তাদের বাড়ি নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা, তাদের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা ইত্যাদি। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যারা নানা দেশে শরণার্থীর জীবনযাপন করছেন তাদের দেশে ফিরতে দেয়া হচ্ছে না বলেও রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। ইসরায়েলে সংখ্যালঘু আরবদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগের কিছুটা ওপরে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২১৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে নানা ধরনের বৈষম্যের চিত্রও তুলে ধরেছে। এর বাইরে ইসরায়েলের দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংকে রয়েছেন ২৫ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস করেন সাড়ে তিন লক্ষ ফিলিস্তিনি। আর গাযা ভূখণ্ড, যেটিও ইসরায়েলের দখলে, সেখানে ১৯ লক্ষ ফিলিস্তিনির বাস। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের বর্ণবাদী আচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এব্যাপারে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্যও মানবাধিকার সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালদের প্রধান কৌঁসুলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ইসরায়েলি সরকার বলছে, তাদের ওপর ঐ আদালতের কোন এখতিয়ার নেই এবং তারা তদন্তে সহযোগিতা করবে না। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: | Israel is committing the crimes of apartheid and persecution against Arabs in the occupied territories and Israel itself, Human Rights Watch says. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ক্যাডির জন্য ক্রিসমাসের উপহার দুই বছরের ক্যাডির জন্য আগামী ১৪ বছরের ক্রিসমাস উপহার রেখে গেছেন তাদের বয়সী প্রতিবেশী কেন। যুক্তরাজ্যের ভেল অফ গ্লামোরগানের ব্যারি শহরে ওয়েন এবং ক্যারোলিন উইলিয়ামের কাছাকাছি একটি বাসায় গত দুইবছর ধরে বসবাস করতেন মি: কেন, যার বয়স ছিল আশি বছরের বেশি। তিনি একসময় গভীর সমুদ্রে ডুবুরি হিসাবে কাজ করতেন, তবে অনেক আগে অবসর নিয়েছিলেন। দুই বছরের ক্যাডি উইলিয়ামস দম্পতি জানিয়েছে, তাদের দুই বছরের কন্যা ক্যাডিকে খুব ভালোবাসতেন মি: কেন। কিছুদিন আগে তিনি মারা যান। এরপর গত সোমবার সকালে মি: কেনের মেয়ে এসে উইলিয়ামসদের দরজায় নক করেন। তখন তার হাতে ছিল উপহারের একটি বাক্স। ''তার হাতে ছিল বিশাল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ। আমি ভেবেছিলাম তার মধ্যে হয়তো নানা আবর্জনা ভরা আছে, যা হয়তো সে আমাকে ফেলে দিতে বলবে।'' সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিচ্ছিলেন মি: উইলিয়ামস। ''কিন্তু সে বললো, এই ব্যাগে ক্যাডির জন্য তার বাবা সমস্ত কিছু রেখে গেছেন।'' ক্যাডির জন্য প্রতিবেশী কেনের উপহার সেখানে সবগুলোই ছিল ক্যাডির জন্য ক্রিসমাসের উপহার। এসব উপহার আগামী ১৪ বছর ধরে তাকে দেয়া যাবে। এসব উপহার দেখে উইলিয়ামস পরিবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ''আমি যখন সেগুলোকে ঘরের ভেতর নিয়ে এলাম, আমার স্ত্রী তখন তার মায়ের সঙ্গে ফেসটাইমে কথা বলছিলেন। উপহার দেখে আমার স্ত্রী কাঁদতে শুরু করলেন, আমিও কাঁদতে শুরু করলাম আর আমার শাশুড়িও কাঁদতে লাগলেন।'' ''এটা বর্ণনা করা আসলে খুব কঠিন, কারণ এটা ছিল একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি জানি না, কতদিন ধরে তিনি এগুলো জমিয়েছেন। আমরা জানি না, তিনি কি গত দুই বছর ধরেই কিনেছেন নাকি মৃত্যুর শেষ দিনগুলোয়।'' মি: উইলিয়ামস জানিয়েছেন, তারা একটি উপহারের প্যাকেট খুলে সেখানে বই দেখতে পেয়েছেন। তবে এখনো জানেন না, বাকি উপহারগুলোতে কী রয়েছে। ''আমরা হয়তো ধারণা করতে পারি যে, সেখানে হয়তো কিছু বই রয়েছে, হয়তো তিন চারটি খেলনা রয়েছে।'' | A family was left shocked to find their late elderly neighbour had left Christmas presents to give to their daughter for the next 14 years. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | রায় ঘোষণার পর কারাগারের নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয় ৩৩ বছর বয়সী জুনাইদ হাফিজকে ২০১৩ সালের মার্চে গ্রেফতার করা হয়। নবী মুহাম্মদকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অসম্মানসূচক মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। পাকিস্তানে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। এই আইনের অধীনে কোনো ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন করার জন্য কখনো কখনো শুধু অভিযোগই যথেষ্ট হয়। জুনাইদ হাফিজের পক্ষে তার প্রথম আইনজীবী ২০১৪ সালে এই মামলার দায়িত্ব নেয়ায় সে বছরই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কারাগারেও অন্যান্য কয়েদিরা জুনাইদ হাফিজের ওপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করলে বেশ কয়েক বছর তাকে নির্জন কারাবাস ভোগ করতে হয়। মুলতানের যেই কারাগারে মি. হাফিজকে আটক রাখা হয়েছে, সেই কারাগারের আদালতই তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। মার্কিন সাহিত্য, ফটোগ্রাফি ও থিয়েটার বিষয়ে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স করেছেন জুনাইদ হাফিজ। আরো পড়তে পারেন: এক বালতি পানি, ব্লাসফেমি এবং আসিয়া বিবির ফাঁসি অবশেষে পাকিস্তান ছাড়লেন আসিয়া বিবি ব্লাসফেমির জন্য পাকিস্তান ছাড়তে হয়েছিল যাদের রায় ঘোষণা হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের সহকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করে পাকিস্তানে ফিরে এসে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মুলতানের বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষকের দায়িত্বে ছিলেন। মি. হাফিজের বর্তমান কৌঁসুলিরা মন্তব্য করেছেন যে এই রায় 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।' রায়ের বিরুদ্ধে অ্যাপিল করবে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি'কে জানিয়েছে তারা। রায় ঘোষণা হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাদের সহকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করেন। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই রায়কে 'অত্যন্ত হাতাশাজনক ও বিস্ময়কর' বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন কী? পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনের অধীনে যারা ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে তাদেরকে মৃত্যুদন্ড সহ কঠোর শাস্তি দেয়া হয়। ধর্ম সম্পর্কিত অপরাধের আইন ১৮৬০ সালে ভারতের বৃটিশ শাসকদের দ্বারা প্রথমবার বর্ণিত হয়। পরে ১৯২৭ সালে এটিকে আরো বিস্তৃত করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান এই আইনগুলোকে গ্রহণ করে। প্রাচীন আইন অনুযায়ী, কোনো ধর্মীয় সমাবেশে গন্ডগোল করা, অন্য ধর্মের সমাধিস্থানে প্রবেশ করা, ধর্মীয় বিশ্বাস অপমান করা বা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ধর্মীয় স্থান বা বস্তু ধ্বংস বা তার ক্ষতি করায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া যেতো। কিন্তু ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে সেনাশাসক জিয়াউল হকের সময় এই আইনে আরো বেশ কয়েকটি ধারা সংযুক্ত করা হয়। জেনারেল জিয়াউল হক পুরনো আইনটিকে 'ইসলামিকরণ' করে পাকিস্তানের সুন্নি মুসলিম ও আহমাদিয়া সম্প্রদায়কে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে আহমাদিয়াদের অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। আইন সংযুক্ত নতুন ধারায় ইসলামের কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করাকে অবৈধ করা হয়, 'ইচ্ছাকৃতভাবে' কোরান অপবিত্র করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড শাস্তির বিধান আনা হয় এবং পরে, নবী মুহম্মদকে অবমাননা করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা মৃত্যুদন্ডের বিধানের বিষয়গুলো সংযুক্ত করা হয়। ব্লাসফেমির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় ৪০ জনকে এরই মধ্যে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে পাকিস্তানে- তবে এখন পর্যন্ত কারো দন্ডই কার্যকর করা হয়নি। ব্লাসফেমির অভিযোগে পাকিস্তানের খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবি আট বছর কারাভোগ করার পর গত বছর মুক্তি পেলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আসিয়া বিবির দণ্ডাদেশ পরিবর্তিত হয়। আসিয়া বিবিকে কারাগার থেকে ছাড়া হলে তা পাকিস্তানে ব্যাপক সংঘাত তৈরি করে এবং আসিয়া বিবি বাধ্য হন আরেক দেশে আশ্রয় নিতে। কারা এই আইনের ভুক্তভোগী? পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কয়েক দশক যাবত ব্লাসফেমির মামলাগুলো সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে। তাদের মতে, ব্লাসফেমি আইনের কারণে ভুক্তভোগীদের সিংহভাগই মুসলিম। সংখ্যায় মুসলিমদের পরেই রয়েছে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। পাকিস্তানের শান্তি ও বিচার বিষয়ক জাতীয় কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৭৭৬ জন মুসলিম, ৫০৫ জন আহমাদি, ২২৯ জন খ্রিস্টান এবং ৩০ জন হিন্দুকে ব্লাসফেমি আইনের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলার বড় একটা অংশই কোরান অপবিত্র করার অভিযোগে করা হয়েছে। পাকিস্তানের মানুষের একটা বড় অংশ এই আইনের সমর্থন করেন। কেন সংস্কার করা হয় না এই আইন? বিভিন্ন সময় এই আইনের সংস্কারের বিষয়ে অনেকে চেষ্টা করলেও সেসব প্রচেষ্টা সফল হয়নি। পাঞ্জাবের গভর্নর ও এই আইনের একজন সমালোচক সালমান তাসীরকে ২০১১ সালে তারই দেহরক্ষী গুলি করে হত্যা করে। সেসময় অনেক মানুষ ঐ হত্যাকারীর কাজকে সমর্থন করে। ২০১৬ সালে হত্যাকারী মুমতাজ কাদরির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার পর তার শেষকৃত্যে হাজার হাজার মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে আসে। ২০১১ সালে গভর্নর তাসীর হত্যার একমাস পর ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনিও ব্লাসফেমি আইনের সমালোচক ছিলেন। ব্লাসফেমি আইনের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাবের কারণে কোনো রাজনৈতিক দলই এই আইন পরিবর্তন করার বিষয়ে তেমন জোর দিতে চায় না। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বছর নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় আসলে এই আইন রক্ষা করবেন তিনি। | A university lecturer in Pakistan has been sentenced to death for blasphemy. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | রাহুল গান্ধী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেস সভাপতির পদে হলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার এই নিয়োগ নিশ্চিত করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব নেবেন ১৬ই ডিসেম্বর। বিবিসির ভারত সংবাদদাতা স্যৌতিক বিশ্বাস লিখছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে - যেবার নরেন্দ্র মোদির বিজেপি ক্ষমতায় আসে - সেবার কংগ্রেস জনগণের ভোটের মাত্র ২০ শতাংশ পেয়েছিল। শুধু তাই নয় লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মাত্র ৮ শতাংশ বা ৪৪টি আসন পেয়েছিল দলটি। রাজ্য স্তরে ভারতে বর্তমানে মাত্র দুটি বড় রাজ্য পাঞ্জাব ও কর্ণাটকে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন আছে। ২০১৪ সালের পর তারা ৬টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে হেরেছে। কোন রাজ্যে একবার হারলে তারা আর সেখানে ফিরে আসতে পারছে না - এটাও দেখা গেছে, যেমন পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে। গুজরাট আর হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে তাদের সম্ভাবনা কে 'মিশ্র' বলেই মনে করা হয়। গত দুটি নির্বা্চনে দেখা গেছে শহর ও গ্রাম - উভয় এলাকার ভোটাররাই কংগ্রেসকে ত্যাগ করেছে। বিভিন্ন বর্ণগত সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে তাদের সমর্থন কমেছে। তাই এখন প্রশ্ন হলো রাহুল গান্ধী কি কংগ্রেসের এই দুর্দশার অবসান ঘটাতে পারবেন? মা সোনিয়ার সাথে রাহুল গান্ধী গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের এই রাহুল গান্ধীকে অনেকেই মনে করেন একজন 'অনিচ্ছুক' রাজনীতিবিদ বলে। তার মা সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস নেত্রী হয়ে চেষ্টা করেও দলের মোড় ফেরাতে পারেন নি। তবে রাহুল গান্ধী যখন সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান - সেসময় কিছু একটা ঘটেছিল, তার সফর বেশ ভালোভাবে গৃহীত হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। সামাজিক মাধ্যমেও তার প্রচারণা শেষ পর্যন্ত একটা শক্তি অর্জন করেছে। তার মন খুলে কথা বলা, রসবোধ, - এগুলো একটা ভালো ভাবমূর্তি তৈরি করেছে। বিশেষ করে গুজরাটের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেখা গেছে যে তিনি তার কোন্দল-প্রবণ দলের নেতাদের উজ্জীবিত করতে পেরেছেন। বেকারত্ব, অসহিষ্ণুতা, অর্থনীতি, নোট বাতিল করা, নরেন্দ্র মোদি সরকারের অ-বাস্তবায়িত প্রতিশ্রুতি - এগুলোর ব্যাপারে তার স্পষ্ট কথাবার্তা ভোটাররা পছন্দ করেছেন। এতে তার দরও কিছুটা উজ্জীবিত হয়েছে বলে মনে হয়, কিন্তু নির্বাচিত হতে হলে তাকে আরো অনেক বেশি রাজনৈতিক দক্ষতা দেখাতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক আগেই কংগ্রেস ভারতের রাজনীতির খেই হারিযে ফেলেছিল। ভারত যে এক-দল প্রধান রাজনীতি থেকে অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক বহু-দলীয় রাজনীতির দিকে যাচ্ছে - কংগ্রেস তা বুঝে তার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে নি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলোও তাদের ক্ষতি করেছে। রাহুল গান্ধীকে নির্বাচনে জেতার মত জোট গড়ে তুলতে হবে অনেকের মত হলো, রাহুল গান্ধীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে - তার দলের পরিবারতন্ত্রের ঐতিহাসিক বোঝা তিনি কিভাবে বহন করবেন। নরেন্দ্র মোদি তার সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসাকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু রাহুল একবার আমেরিকায় এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ভারত এভাবেই চলে। এক অর্থে রাহুল গান্ধী হয়তো ঠিকই বলেছেন। ভারতে আঞ্চলিক দলগুলোতেও পরিবারতান্ত্রিক নেতৃত্ব দেখা যায়। বিজেপিও এর থেকে মুক্ত নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলেন, ভারতীয় ভোটাররা এ ক্ষেত্রে খুব একটা বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন না। গত সাধারণ নির্বাচনের সময় দেখা গেছে, ভারতের হিন্দু ভোটারদের মাত্র ১৬ শতাংশ পেয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের ভোটারদের প্রতি ১০ জনের ৬ জন ছিল হয় মুসলিম, নয় উপজাতীয়, শিখ বা খ্রিষ্টান। বিজেপির ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ১০ জনে মাত্র তিন জন। একজন বিশ্লেষক বলেন, রাহুল গান্ধীর চ্যালেঞ্জ হলো বিজেপির মতো হিন্দুত্ববাদের কপি না হয়েও হিন্দুদের ভোট টানার ক্ষমতা অর্জন করা। হিন্দুদের বিচ্ছিন্ন না করেও হিন্দু-জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করা। হয়তো তার সেরা কৌশল হবে সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা - যখন নরেন্দ্র মোদিও কংগ্রেস যে ভুল করেছিল ঠিক সেই ভুলগুলো করতে শুরু করবেন। স্পষ্টতই, রাহুল গান্ধীর সামনে অনেক কঠিন সময় পড়ে রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: চব্বিশ বছরের হার্দিক কেন গুজরাটে 'বিজেপির ত্রাস' সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদি আরব এক দেশে প্রায় ৬০ কোটি সিসিটিভি ক্যামেরা হারাম আল-শরিফ কেন এত স্পর্শকাতর একটি স্থান | Rahul Gandhi's ascension to the leadership of India's 132-year-old Congress party comes at a time when it is struggling to stay relevant. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ভারতের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সেলেব্রিটি ইভেন্টটি এর মধ্যে বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। আর এই বিতর্ক শুরু হয় একটি টুইট বার্তা থেকে। ভারতে খোলা স্থানে মলত্যাগ বন্ধ করতে দেশটির সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে সে জন্য মি. মোদীকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের। ২রা সেপ্টেম্বর একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন। 'সোয়াচ ভারাত আভিয়ান' বা 'ক্লিন ইন্ডিয়া মিশন' হিসাবে পরিচিত এই প্রচারণায় সারাদেশের স্যানিটেশন উন্নয়নের লক্ষ্যে দরিদ্র মানুষের জন্য অন্তত এক কোটি শৌচাগার তৈরি করে দেয়া হয়। আপাতদৃষ্টিতে এই পুরষ্কারটি টুকরো টুকরোভাবে বিভিন্ন মতামতের জন্ম দিয়েছে। কমপক্ষে তিনজন নোবেল বিজয়ী এই পুরস্কার দিতে অসম্মতি জানিয়েছেন। এক লাখ মানুষ এ ব্যাপারে একটি পিটিশনে স্বাক্ষরও করেছে। আলোচিত এই ইভেন্টটি সেলেব্রিটিরাও প্রত্যাখ্যান করেন - ব্রিটিশ এশিয়ান অভিনেতা জামিলা জামিল এবং রিজ আহমেদের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও পরে তারা সেখানে যাবেন না বলে জানান। এ ব্যাপারে তাদের দু'জনের কেউ কোন ব্যাখ্যা দেননি। মি. মোদীর জন্য নির্ধারিত এই পুরষ্কারটি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা আজ পর্যন্ত যারা গেটস ফাউন্ডেশনের "গোলকিপার" পুরষ্কার পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগ তৃণমূলের রাজনৈতিক এবং কমিউনিটি কর্মী ছিলেন। ২০১৮ সালে ইয়াজিদি মানবাধিকার কর্মী নাদিয়া মুরাদ এই পুরুষ্কার পেয়েছিলেন। কেন মি. মোদী পুরষ্কার পাচ্ছেন? শৌচাগার বা এমনকি কলের পানির সরবরাহ না থাকায় ভারতের ১০ কোটি মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে। এটি একটি চিরাচরিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এটি একদিকে যেমন মাটি ও পানিকে দূষিত করছিল, পাশাপাশি নানা রোগও সৃষ্টি করছিল। আর নারী ও মেয়েদের নিরাপত্তার জন্যও তা হয়ে পড়েছিল ঝুঁকিপূর্ণ। মি. মোদী এই খোলা স্থানে মলত্যাগের অভ্যাস বন্ধ করার বিষয়ে ২০১৪ সালে তার একটি উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতি পূরণের ঘোষণা দেন, যা সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এই লক্ষ্যটি ক্লিন ইন্ডিয়া মিশনের প্রধান কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অন্যতম। মোদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা জুড়েও এই বিষয়টি স্থান পায়। তিনি এবং তাঁর ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার একে একটি সাফল্য হিসাবে চিহ্নিত করেছেন - এবং এই বছরের নির্বাচনের আগে, মি. মোদী দাবি করেছেন যে এই কর্মসূচির কারণে ৯০% ভারতীয় শৌচাগার সেবা পেয়েছে। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের আগে মাত্র ৪০% মানুষ এই সুবিধা পেতো। দ্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বিবিসিকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, "জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অর্জনের পথে ভারত স্যানিটেশন উন্নয়নে যে অগ্রগতি করছে" সেজন্য তারা মোদীকে এই সম্মান করছেন। ভারতে এখনও অসংখ্য মানুষ খোলা আকাশের নীচে মলত্যাগ করে। প্রকল্পটি কতটা সফল হয়েছে? প্রকল্পটির সফলতা মূলত নির্ভর করছে মানুষ কিভাবে সেটাকে মূল্যায়ন করছে - তার উপর। এটি সত্য যে শৌচাগারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিবিসির একটি তদন্তে দেখা গেছে যে এসব শৌচাগারের মধ্যে অনেকগুলো কাজ করছে না। আবার অনেকে বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করছে না। মূলত প্রবাহিত পানির অভাব, শৌচাগারগুলো দেখভাল না করা সেইসঙ্গে দীর্ঘদিনের অভ্যাসের কারণে অনেকে শৌচাগার থাকা সত্ত্বেও ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন না। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে উত্তর ভারতের কিছু অংশের লোকেরা খোলা জায়গায় মলত্যাগ করতে পছন্দ করতো কারণ, তারা এটিকে আরও "আরামদায়ক" বলে মনে করেন। তাদের মতে, এটি একটি "স্বাস্থ্যকর পুণ্যবান জীবনের অংশ"। আরেকটি সাধারণ সমস্যা হ'ল সরকার দারিদ্র মানুষেদের বাড়িতে একটি করে টয়লেট তৈরির জন্য ভর্তুকি দেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু সেই ভর্তুকি এক বছর ধরে কয়েকটি কিস্তিতে দেয়া হয়। তাই অনেক দরিদ্র পরিবারকে শৌচাগারের নির্মাণ শেষ হওয়ার জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়। "আবার অনেক সুবিধাভোগীরা শৌচাগারের নির্মাণ শুরু করলেও, শেষ করছেনা," -স্যানিটেশন উন্নয়নে কাজ করে এমন একটি অলাভজনক সংস্থা মাহিলা সেওয়া ট্রাস্টের সিরাজ হিরানি এ কথা বলেছেন। আরও পড়তে পারেন: কাচের জারে মানুষের মল নিয়ে মঞ্চে উঠলেন বিল গেটস ওমব্যাটের মল কেন কিউব আকৃতির টাকায় মলমূত্রের ব্যাকটেরিয়া: সুরক্ষার উপায় কী? সবার জন্য টয়েলেট সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রচারণা। সংস্থাটির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসাবে মি. হিরানী ক্লিন ইন্ডিয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে গ্রামীণ ও নগর সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তাঁর অন্যান্য বড় উদ্বেগের জায়গা হল - এই ভর্তুকিটি নর্দমা স্থাপনের পেছনে ব্যয় করার জন্য দেয়া হয় না। এ কারণে গ্রামাঞ্চলের লোকেরা শেষ পর্যন্ত গর্ত শৌচাগার নির্মাণ করেন। মি: হিরানীর আশঙ্কা যে, উপকূলীয় অঞ্চলে, যেখানে মাটিতে পানির উচ্চতা বেশি, সেখানে এই শৌচাগারগুলোর কারণে ভূগর্ভস্থ পানি এবং মাটির দূষিত হতে শুরু করবে। মি. হিরানী বলেছেন, উন্মুক্ত মলত্যাগ "উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস" পেয়েছে, তবে "সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হ'ল আমরা কীভাবে এটি টিকিয়ে রাখতে পারি?" তিনি আরও বলেছেন যে সরকারের সাফল্য পরিমাপের জন্য যে জরিপ করা হয়, তার তথ্য পুরোপুরি নির্ভর করে অবকাঠামোর অস্তিত্বের উপর। যেমন কয়টি শৌচাগার নির্মাণ হয়েছে সেটাই দেখা হচ্ছে। কিন্তু এগুলো ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে কিনা, আচরণগত পরিবর্তন এসেছে কিনা -- সেগুলো উপেক্ষিত থেকে যায়। তিনি বলেছেন, ক্লিন ইন্ডিয়া মিশন একটি "দুর্দান্ত আইডিয়া" যা খোলা আকাশের নীচে মলত্যাগের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসেছে। আর এজন্য মি. মোদী এই পুরষ্কারের যোগ্য। তবে তিনি আশঙ্কা করেন যে এই স্বীকৃতিকে একটি বিজয় হিসাবে দেখা হতে পারে। "নিজেকে প্রমাণ করা ঠিক আছে, তবে নিজেকে প্রমাণ করার সময় আপনাকে অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।" ইরানের রাজনৈতিক কর্মী এবং নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদি এই পুরষ্কারের বিরোধিতা করেছেন। সমালোচকরা কী বলছেন? সমালোচকরা যখন মোদীর এই প্রকল্পটির প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়গুলো চিহ্নিত করছিলেন, তখনই বড় সমালোচনাগুলো ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেই ওঠে। ২০০২ সালে নিজ রাজ্য গুজরাটে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক বছর মি. মোদী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ ছিলেন। ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী অনেকের কাছে প্রশংসিত হলেও তিনি একজন বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে প্রায়শই সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক বক্তৃতা এবং সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে। ভারত-শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৫ই আগস্ট ছিনিয়ে নেওয়ার পরে সেখানে মি. মোদীর নির্দেশ যে অচলাবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটাও নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কাশ্মীরের হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী ও আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে। যোগাযোগ অনেকাংশেই বন্ধ রয়েছে। পুরো রাজ্য জুড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন। সেইসঙ্গে এই নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। "এই পুরষ্কারের সময় - কাশ্মীর এমন একটি বিষয় যা কেবল কাশ্মীরিদেরই নয়, আমাদেরও তাড়া করে বেড়ায়," বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিব ভিশওয়ানাথন বিবিসিকে এ কথা বলেন। "[কাশ্মীরে] ট্রমা ক্লিনিকের অনেক প্রয়োজন রয়েছে। 'গেটস ফাউন্ডেশন' কি অধিকারের নামে এই ক্লিনিকগুলো প্রতিষ্ঠা করবে? [মোদী] সরকার কি এর অনুমোদন দেবে?" ডা. ভিশওয়ানাথন এটাও বলেন যে, "বিল গেটসের মতো পরোপকারীরা মি. মোদী সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন, এই বিষয়টি এড়িয়ে চলাও কঠিন। "বিষয়টিকে সহজভাবে দেখলে হবে না। এতে এটা নিশ্চিত যে [গেটস] ফাউন্ডেশন ভারতে একটি ভাল সময় কাটাচ্ছে।" মি. মোদী এই সমালোচনার জবাব দেননি, তবে তিনি পুরষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন। ফাউন্ডেশন কী বলছে? বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি যে মি. মোদী ২০১৯ সালে 'গোলকিপার' পুরষ্কার পাবেন - এবং পুরষ্কারের ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে যে চলতি বছরের বিজয়ীদের নাম এই ইভেন্টে প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সমালোচনা বাষ্প ছড়াতে থাকলে, এটা স্বীকার করে নেয়া হয়েছিল যে মি. মোদী প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকদের মধ্যেই একজন। মি. মোদী প্রথম এই পুরষ্কার প্রাপ্ত রাজনীতিবিদ নন - লাইবেরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এলেন জনসন সিরলিফকে ২০১৩ সালে সম্মানিত করা হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদীকে এই সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে ফাউন্ডেশন বিবিসি তাদের বিবৃতিতে জানায় যে "স্যানিটেশন এর আগে কখনই এতোটা মনোযোগ পায়নি" এবং "অনেক সরকার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন, কারণ এর কোন সহজ সমাধান নেই"। "সোয়াচ ভারাত মিশনের আগে, ভারতে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষের নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। যা এখন, বেশিরভাগ লোকেরই আছে। এখনও অনেক দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া বাকি আছে। তবে ভারতে স্যানিটেশনের সুযোগ সৃষ্টির প্রভাব ইতিমধ্যে উপলব্ধি করা যাচ্ছে। সোয়াচ ভারাত মিশন বিশ্বের সেইসব দেশের জন্য একটি মডেল হতে পারে যাদের জরুরিভাবে দরিদ্রতম মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে স্যানিটেশনের সেবা প্রয়োজন।" | Indian Prime Minster Narendra Modi's high-profile visit to the US includes an evening in New York, where he will be honoured for a flagship government scheme. But the celebrity event has turned controversial. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | চন্দ্রাভিযান নানাভাবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ভূমিকা রাখছে। ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই চাঁদের বুকে প্রথম অবতরণের পর এই বিখ্যাত উক্তি করেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং, যার মাধ্যমে ৫০ বছর আগের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত বিশাল অর্জনটি তুলে ধরেন। তবে এটা আসলে এমন একটা বিশেষ অভিযান, যা নানাভাবে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকেও প্রভাবিত করছে। বর্তমানের হিসাবে বিচার করলে অ্যাপোলোর ওই কর্মসূচীর খরচ দাঁড়াবে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু ওই কর্মসূচী এমন অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে, যা জেনে অনেকেই অবাক হবেন। এখানে তার কয়েকটা উদাহরণ: ১. প্রযুক্তির নতুন আবিষ্কার অ্যাপোলো অভিযানের প্রযুক্তি থেকে ১০ বছর পরে তৈরি হয় ডাস্টবাস্টার ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের। অ্যাপোলো অভিযানের আগে থেকেই তারবিহীন শক্তির ব্যাপারটি প্রচলিত ছিল। কিন্তু ওই অভিযান এসব পণ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছিল, যার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, আমেরিকান সরঞ্জাম নির্মাতা কোম্পানি ব্লাক এন্ড ডেকার 'স্যানস কেবল' ড্রিলের বা শক্তি প্রয়োগ সরঞ্জামের উদ্ভাবন করে ১৯৬১ সালে। আরো পড়ুন: ভারতকে চাঁদ আর মঙ্গলে পৌঁছে দিয়েছেন যিনি মহাকাশে এবার 'মেইড ইন চায়না' নকল চাঁদ! বোমা মেরে চাঁদ কেন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল নাসা কিন্তু এই একই কোম্পানি নাসাকে এমন বিশেষ একটি শক্তি প্রয়োগের যন্ত্র তৈরি করে দিয়েছিল, যা স্যাটেলাইট থেকে মূল নমুনা সংগ্রহ করতে সহায়তা করে। ইঞ্জিন এবং ব্যাটারির উন্নতি করতে গিয়ে ব্লাক এন্ড ডেকার যেসব প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করে, তার ফলে তারা নতুন বেশ কিছু সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রথম কর্ডলেস ভ্যাকুয়াম ক্লিনার। এটি তৈরি করা হয়েছি ১৯৭৯ সালে। পরের ত্রিশ বছরে এই ধূলা-বালি পরিষ্কারক যন্ত্রটি অন্তত ১৫ কোটি পিস বিক্রি হয়েছে। ২. নির্ভুল সময় রক্ষা চাঁদের বুকে দ্বিতীয় মানব হিসাবে নামা বায অলড্রিনের হাতের ঘড়ি। চাঁদে সফলভাবে অবতরণের জন্য নির্ভুলতা বা যথাযথতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেকেন্ডের সামান্য একটি অংশের পার্থক্য হলে সেটি নভোচারীদের জন্য জীবন-মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারতো। সুতরাং মিশন পরিচালনা করার জন্য নাসার দরকার ছিল বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভুল ঘড়ির। ফলে এর সমাধান বের করতে গিয়ে আজকের কোয়ার্টজ ঘড়ির উন্নত সংস্করণ বের হয়ে আসে। তবে মজার ব্যাপার হলো, নিল আর্মস্ট্রং এবং বায অলড্রিন মেকানিক্যাল ঘড়ি পরা থাকায় সেই ধরণের ঘড়িই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ৩. পরিষ্কার পানি সুইমিং পুলের পানি পরিষ্কারের জন্যও নাসার অবদান রয়েছে। অ্যাপোলো মহাকাশযানে পানি পরিষ্কার করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা এখন অনেক পানির উৎসে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং জলজ উদ্ভিদ দমনে ব্যবহার করা হয়। রূপালী আয়ন ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লোরিনমুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের সূচনা হয় তখন থেকেই। এখন এই প্রযুক্তি সুইমিং পুলের পানি আর ঝর্ণার পানি পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সারা পৃথিবী জুড়েই ব্যবহৃত হচ্ছে। ৪. দীর্ঘমেয়াদী জুতা মহাকাশ পোশাক তৈরির প্রযুক্তি এখন অনেক স্পোটর্স পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চাঁদে হাঁটাহাঁটি করার জন্য ১৯৬৫ সালে যে ধরণের পোশাকের নকশা করা হয়েছিল, এখনো বিশ্বের নভোচারীরা সেই ধরণের পোশাক ব্যবহার করেন। তবে ওই প্রযুক্তি জুতা তৈরিতেও অনেক অবদান রেখেছিল। আরো নমনীয়, টেকসই আর আঘাত শোষক খেলোয়াড় টাইপের জুতা গত কয়েক দশক ধরেই বাজার দখল করে রেখেছে। ৫. আগুন প্রতিরোধী কাপড় নভোচারীদের রক্ষায় যে অগ্নিপ্রতিরোধী পোশাক তৈরি করেছিল নাসা, তা এখন পৃথিবীর অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ১৯৬৭ সালে একটি প্রশিক্ষণ মহড়া চলার সময় অ্যাপোলো-১ আগুন লেগে তিনজন নভোচারী মারা যান, যা আমেরিকান মহাকাশ কর্মসূচীতে বিপর্যয় ডেকে আনে। তবে এর ফলে নাসা এমন একটি আগুন প্রতিরোধী কাপড় তৈরিতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে, যা এখন বিশ্বে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয়। আসলে উৎক্ষেপণের সময় যে পোশাকের যে ঠাণ্ডা করার প্রযুক্তি নভোচারীদের সুস্থ রাখে, সেটি এখন অনেক রোগীসহ মানুষের উপহারে ব্যবহার হয়। এমনকি অনেক স্থানে ঘোড়ার শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্যও এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। ৬. জীবন বাঁচানো হৃদরোগ প্রযুক্তি নাসার একটি ক্ষুদ্র আকারের সার্কিটের প্রযুক্তি অনুসরণ করে হৃদযন্ত্রের চিকিৎিসায় ইমপ্লান্টেবল ডিফ্রিবিলিটার আবিষ্কৃত হয়। ইমপ্লান্টেবল ডিফ্রিবিলিটার, যা হৃদযন্ত্রের বিপজ্জনক এবং অস্বাভাবিক কম্পনের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়, সেটি প্রথমে আবিষ্কার করা হয়েছিল নাসার একটি ক্ষুদ্র আকারের সার্কিটের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে গিয়ে। এখন অনেক জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির যন্ত্রটি অনেক রোগীর চামড়ার নীচে স্থাপন করা হয়, যা হৃদযন্ত্রের কম্পন নজরদারি করে। বিশেক বৈদ্যুতিক পালস পাঠিয়ে হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিকতা রোধ করে এই যন্ত্রটি। এই যন্ত্রের প্রথম সংস্করণটি ব্যবহার করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। ৭. শুকনো খাবার অ্যাপোলো অভিযানে খাবার সংরক্ষণের প্রযুক্তি এখন ছড়িয়ে পড়েছে বাণিজ্যিকভাবেও। চাঁদে যাবার পরিকল্পনা করতে গিয়ে নাসাকে চিন্তা করতে হয়েছে কিভাবে জায়গার সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করা হয় এবং মহাকাশযানটিকে যতটা সম্ভব হালকা রাখা যায়। ফলে অ্যাপোলো মিশনের খাবার নিয়েও গবেষণা করতে শুরু করেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এর আগের মার্কারি এবং জেমিনি কর্মসূচীর তুলনায় চাঁদের অভিযানগুলোয় প্রায় ১৩দিন ধরে মহাকাশে কাটাতে হবে। এর ফলে ঠাণ্ডা-শুকনো প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়। তখন সদ্য রান্না করা খাবার খুব সামান্য তাপমাত্রায় রেখে ভেতর থেকে পানি বের করে ফেলা হয়। এই খাবার খাওয়ার সময় শুধুমাত্র গরম পানি দিলেই আবার খাবার উপযোগী হয়ে যায়। এটা নিল আর্মস্ট্রং এর জন্য ভালো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই প্রযুক্তিতে খাবার বহনের সুবিধা পাচ্ছেন অভিযাত্রীরা। এমনকি এরকম খাবার কম দামেও কেনা যায়। ৮. টিকে থাকার কম্বল মহাকাশ কম্বল প্রযুক্তি এখন পৃথিবীর অনেক মানুষের জরুরি সহায়তায় ব্যবহৃত হচ্ছে। মহাকাশের কম্বল হচ্ছে এমন একটা অপরিবাহী জিনিস, যা অ্যাপোলোর লুনার মডিউলকে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ব্যবহার করছে মহাকাশ এজেন্সিগুলো। এটার ফলে মহাকাশযানকে দেখে মনে হবে, সেটা যেন খানিকটা টিন ফয়েলে পেঁচানো রয়েছে। এটি থেকেই টিকে থাকার কম্বল তৈরির ধারণা তৈরি হয়, যা আমরা এখন দেখি। প্লাস্টিক, ফিল্ম এবং অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা মহাকাশ কম্বল এখনো নভোচারীদের রক্ষা করে চলছে। নাসার প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরুরি থার্মাল কম্বল তৈরি করা হয়েছে, যা এখন অনেক উদ্ধার অভিযান ও মানবিক মিশনে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় এ ধরণের পোশাক ম্যারাথন ইভেন্টে ব্যবহার করা হয়। কারণ প্রতিযোগীদের হাইপোথারমিয়া থেকে রক্ষায় এসব পোশাক সহায়তা করে। অনেক হাসপাতাল রোগী এবং কর্মীদের উন্নতির জন্য নিয়মিতভাবে এই মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অ্যাপোলো ১১: যে 'বাচ্চারা' আমাদের চাঁদে নিয়ে গিয়েছিল | "It was a small band of people, but it was a huge step for Cardiff". |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | মানুষের কম্পিউটার গ্রাফিক্স "আমি আর পারছিনা. আমি সব ছেড়ে দিচ্ছি।" লিখেছিলো সে। এর কিছুক্ষণ পরেই সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সে ঋণগ্রস্ত ছিল। এছাড়া মায়ের সাথে বিবাদ চলছিল এবং চরম বিষণ্ণতায় ভুগছিল সে। তার বিশ্ববিদ্যালয় নানজিং থেকে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আমস্টারডামের একটি কম্পিউটারে চলমান এক প্রোগ্রামে শনাক্ত করা হয় চীনের এই শিক্ষার্থীর পোস্টটি। ওই কম্পিউটার প্রোগ্রামটি মেসেজটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে চীনের বিভিন্ন এলাকায় থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের নজরে আনে যাতে তারা দরকারি ব্যবস্থা নিতে পারে। যখন তারা এত দূর থেকে মিস্টার লিকে জাগিয়ে তুলেতে সক্ষম হল না তখন স্থানীয় পুলিশের কাছে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানায় এবং এরপর তারা এসে তাকে বাঁচায়। আরো পড়ুন: সাগরদ্বীপে উপকুল অতিক্রম করেছে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল কেন মন্দির বানানোর পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট? উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব কার শুনতে নিশ্চয়ই এটা খুব বিস্ময়কর বা অসাধারণ শোনাচ্ছে কিন্তু ট্রি হোল রেসকিউ টিমের সদস্যদের আরও অনেক সাফল্যের কাহিনীর মধ্যে এটা একটি মাত্র। এই উদ্যোগের প্রধান ব্যক্তিটি হচ্ছেন হুয়াং ঝিশেং, যিনি ফ্রি ইউনিভার্সিটি আমস্টারডামের একজন শীর্ষ আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স(কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) গবেষক। গত ১৮ মাসে চীন-জুড়ে ছয়শও স্বেচ্ছাসেবক তার এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছে, যারা বলছে প্রায় ৭০০-র কাছাকাছি মানুষকে তারা বাঁচিয়েছে। "এক সেকেন্ড যদি আপনি ইতস্তত করেন, অনেক প্রাণ শেষ হয়ে যাবে"-বিবিসি নিউজকে বলছিলেন মিস্টার হুয়াং। "প্রতি সপ্তাহে, প্রায় ১০জনকে আমরা প্রাণে বাঁচাতে সক্ষম"। প্রথম রেসকিউ অপারেশন চালানো হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল। চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শ্যানডং প্রদেশের ২২ বছর বয়সী আরেক তরুণী তাও ইয়ো, উইবোতে লিখেছিল যে দুইদিন পরে নিজেকে শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল সে। চাইনিজ একাডেমী অব সায়েন্স-এর স্বেচ্ছাসেবক পেং লিং নামে এবং আরে কয়েকজন বিষয়টিতে বিচলিত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। মিজ পেং বিবিসিকে বলেন, তারা আগের এক পোস্ট থেকে ওই শিক্ষার্থীর একজন বন্ধুর ফোন নম্বর পান এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। আমি ঘুমানোর আগে তাকে মেসেজ করার চেষ্টা করি এবং বলি যে আমি তাকে তুলতে পারবো। তার উইচ্যাট মেসেজ গ্রুপের একজন বন্ধু হিসেবে সে আমাকে যুক্ত করে এবং ধীরে ধীরে শান্ত হয়। তখন থেকে তার দিকে আমি নজর রাখতাম যেমন সে খাচ্ছে কি-না। আমরা সপ্তাহে একবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাকে একগুচ্ছ করে ফুল কিনে দিতাম" এই সাফল্যের পরে এই উদ্ধার দলের সদস্যরা একজন পুরুষকে উদ্ধার করে যিনি একটি ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়তে চেয়েছিল এবং একজন নারীকে বাচায় যে কিনা যৌন হেনস্থার শিকার হওয়ার পর নিজেকে হত্যা করতে চেয়েছিল। "উদ্ধারের জন্য দরকার ভাগ্য এবং অভিজ্ঞতা দুটোই।" বলেন বেইজিং এর একজন মনোবিজ্ঞানী লি হং যিনি এই প্রোগ্রামের সাথে একবছর ধরে জড়িত আছেন। তিনি স্মরণ করেন কিভাবে তিনি এবং তার সহকর্মীরা চেং-ডুর আটটি হোটেলে পরিদর্শন করেন, আত্মহননে চেষ্টাকারী একজন নারীকে খুঁজতে একটি রুমও বুকিং দেন। মিজ লি বলেন, "সব হোটেলের অভ্যর্থনা-কর্মীরা সবাই বলতো তারা ্ওই নারীর সম্পর্কে কিছু জানেনা। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন এক মুহূর্তের জন্য ইতস্তত করছিলেন । তখন আমরা ধরে নিলাম যে এটা নিশ্চয়ই সেই হোটেল -এবং তাই ছিল। এই উদ্যোগের প্রধান ব্যক্তি হুয়াং ঝিশেং, যিনি ফ্রি ইউনিভার্সিটি আমস্টারডামের একজন শীর্ষ আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স(কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) গবেষক। কিভাবে কাজ করে এই প্রক্রিয়া? জাভা-বেজড এই প্রোগ্রামটি উইবোতে কিছু 'ট্রি হোলস" মনিটর করে এবঙ সেখানে পোস্ট করা কিছু বার্তা বিশ্লেষণ করে থাকে। একটি "ট্রি হোল" হচ্ছে ইন্টারনেটে যেসব জায়গায় লোকজন অন্যদের পড়ার জন্য গোপনে পোস্ট করে তার একটি চীনা নাম। এই নামকরণে পেছনে রয়েছে আইরিশ কাহিনী যেখানে একজন ব্যক্তি তার সব গোপন কিছু একটি গাছের কাছে গিয়ে বলতেন"। জোও ফানের দেয়া পোস্ট এর একটি উদাহরণ, ২৩ বছর বয়সী এই চীনা শিক্ষার্থী ২০১২ সালে আত্মহত্যার আগে উইবোতে একটি মেসেজ লেখেন। তার মৃত্যুর পর দশ হাজারের বেশি অন্যান্য ব্যবহারকারী তা পোস্টে মন্তব্য করেন, তাদের নিজেদের নিজস্ব সমস্যাগুলো তলে ধরে। এভাবে মূল মেসেজটি একটি ট্রি হোল হিসেবে রূপ নেয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ ধরনের কোন পোস্ট শনাক্ত করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে র্যাংক দেয়া হয়। র্যাংক এ-নাইন বা নয় হলে বুঝতে হবে খুব শিগগিরই একটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো হবে। এ-টেন বা ১০ নম্বর র্যাংকিং মানে হল, ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকরা সরাসরি পুলিশকে খবর দেয়, সেইসাথে ্ওই ব্যক্তির পরিবার, আত্মীয় স্বন বা বন্ধু বান্ধবের সাথে যোগাযোগ করা হয়। মনোবিজ্ঞানী লি হং বলেন তিনি অন্তত ৩০ ব্যক্তিকে সহাযতা দিয়েছেন। কিন্তু যদি র্যাংকিং ৬এর নিচে থাকে- তার মানে কেবল নেতিবাচক কথাবার্তা শনাক্ত করা হয়েছে-স্বেচ্ছাসেবকরা সাধারণত হস্তক্ষেপ করেন না। এসব ঘটনায় যেসব ইস্যুর মধ্যে একটি হল বিষণ্ণতা সম্পর্কে বয়স্ক আত্মীয়দের মনোভাব যে, এটা "বড় কিছু" না। মিস্টার লি বিবিসি নিউজকে বলেন, "আমি জানি যখন হাই স্কুলে ছিলাম আমার মধ্যে বিষণ্ণতার সমস্যা ছিল কিন্তু আমার মা আমাকে বলেছিলেন যে, এটা "একেবারে অসম্ভব-এ সম্পর্কে আর কখনোই কছু ভাববে না" এই প্রোগ্রামে একজন তরুণীর পোস্ট শনাক্ত হয় যেখানে সে লিখেছে, আমি নিজেকে হত্যা করবো যখন নত্তুন বছর আসবে"। কিন্তু যখন স্বেচ্ছাসেবকরা তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করে তখন তিনি বলেন, " আমার মে এই মুহূর্তে খুবই আনন্দিত ছিল। আপনার কত বড় সাহস যে বলছেন, সে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছে?" এমনকি স্বেচ্ছাসেবকরা তার মেয়ের বিষণ্ণতার বিষয়ে প্রমাণ তুলে ধরার পরেও তার মা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। দীর্ঘ যাত্রা এর সফলতা সত্ত্ব্ওে, মিস্টার হুয়াং তার প্রকল্পের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। কারণ উইবোর পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তারা প্রতিদিন কেবল তিন হাজার পোস্ট একত্র করতে পারেন। আমার জীবনের বেশিরভাগই এখন এই উদ্ধার হওয়া মানুষের জন্য কেটে যায়, বলেন মিজ লি। কখনো কখনো তিনি ভীষণ ক্লান্ত বোধ করেন। তিনি জানান এই মুহূর্তে তিনি আটজন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রাখছেন যাদের উদ্ধার করা হয়েছে। "সুতরাং একদিনে আমরা গড়ে কেবল একটি বা দুটি পোস্ট সেভ করতে পারি এবং সবচেয়ে জরুরি ঘটনা যেটি সেখানেই আমরা মনোযোগ দেই। " অনেক সদস্য অফলাইনে সহায়তা করেন। তবে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হল, আত্মহত্যার চিন্তা বা ইচ্ছা আবার ফিরে আসতে পারে। উদ্ধার হ্ওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে মাসের পর মাস খোঁজ খবর রাখতে হয় স্বেচ্ছাসেবকদের। মিজ পেং একজন খুবই অল্পবয়সী একজনের উদাহরণ তুলে ধরেন যাকে উদ্ধার করার পর প্রতিদিন বেশ ভালো বলে মনে হতো, কিন্তু সে এরপর আত্মহত্যা করে। " সে আমাকে বলছিল শুক্রবার নতুন একটি ফটো পোট্রেট পাওয়ার বিষয়ে"। দুই দিন পরে তার মৃত্যু। "একজন মানুষের সাথে একটা দীর্ঘ সময় ধরে আমি আছেন এবং হঠাৎ করে সে নেই এটা আমার জন্য বিশাল এক ধাক্কা" -বলেন মিজ পেং। কিন্তু এর বিপরীতে মিস্টার লি যার কথা শুরুতে বলা হয়েছিল, সে কিন্তু বেশ সুস্বাস্থ্যের সাথে বেঁচে আছে এবং এখন একটি হোটেলে কাজ করে। সে জানায় তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে, "আমি এই কাজ পছন্দ করি কারণ বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে আমার যোগাযোগ হয়। যখন তিনি উদ্ধারকর্মী দলের প্রশংসা করছিলেন তখন আরও বলেন, এটা সব ব্যক্তি বিশেষের ওপর নির্ভর করে দীর্ঘ-মেয়াদী সমাধান খুঁজে বের করা। "নানা ধরনের মানুষের আনন্দ-বেদনা সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কযুক্ত নয়। আপনার অবশ্যই নিজেকে সফল করতে হবে"। | Li Fan, a 21-year-old student, attempted suicide after posting a brief message on the Chinese Twitter-like platform Weibo just after Valentine's Day. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | গুগলে 'বেস্ট টয়লেট পেপার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড' লিখে ইমেজ সার্চ দিলে শুরুতেই পাকিস্তানের পতাকার বিভিন্ন ধরণের ছবি দেখা যাচ্ছে ধারণা করা হচ্ছে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভারত অধ্যূষিত কাশ্মীরে হামলার প্রতিবাদে গুগল সার্চের বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন করে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা এই ব্যবস্থা করেছে। কাশ্মীরে ঐ হামলায় অন্তত ৪০ জন ভারতীয় আধা-সেনা নিহত হয়েছেন। কাশ্মীরে ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা। পাকিস্তান ভিত্তিক ইসলাম পন্থী জঙ্গী সংগঠন জাইশ-ই-মোহাম্মদ দাবি করেছে যে তারা এই আক্রমণের নেপথ্যে ছিল। ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে আত্মঘাতী হামলার পর এখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে কাশ্মীরীদের ওপর হামলা ও চড়াও হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের পতাকার সাথে টয়লেট পেপারের যোগসূত্রের বিষয়টি আলোচনায় আসে ১৪ই ফেব্রুয়ারির হামলার পর তা নিয়ে সমালোচনা তৈরি হওয়া কয়েকটি ব্লগ ব্যবহারকারীদের আলোচনায়। দ্রুতই এটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া তৈরি করে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: জামায়াতের নতুন দলের নামে 'ইসলাম' বাদ পড়তে পারে সৌদি যুবরাজ কী কী দিলেন পাকিস্তানকে? 'নাজুক' পরিস্থিতিতে নতুন ৩ ব্যাংকের অনুমোদন কেন? কাশ্মীরের জের: নগ্ন করে জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে প্যারেড ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় আসার পর পতাকার সাথে টয়লেট পেপারের যোগসূত্র খুঁজতে গিয়ে মানুষ গুগল সার্চ করার কারণে বিষয়টি বেশি করে গুগলের সার্চের তালিকার শীর্ষে আসছে। এখন 'বেস্ট টয়লেট পেপার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড' বা বিশ্বের সেরা টয়লেট পেপার লিখে সার্চ দিলে ঐ সংক্রান্ত বেশকিছু খবর তুলে ধরছে; কিন্তু এই সার্চটি দিয়ে গুগলে ছবি খুঁজলে শুরুতেই পাকিস্তানের পতাকা সম্বলিত বেশ কয়েকটি পেইজের লিঙ্ক সামনে আসছে। সেসব ছবির অনেকগুলো এবিষয়ে তৈরি করা খবরে ব্যবহার করা ছবি। অন্যগুলো পাকিস্তানের পতাকার সাথে টয়লেট পেপারকে জড়িয়ে বিভিন্ন ব্লগে এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং ছবির স্ক্রিনশট। এটি কীভাবে হওয়া সম্ভব, সেবিষয়ে গুগল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। বিশেষ কোনো বিষয়ে সার্চ করে গুগলে অদ্ভূত ফল পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতীয় প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে এর আগেও ব্যাঙ্গাত্মক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসম্মানজনক কন্টেন্ট তৈরি করে গুগল সার্চের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল। | Google searches for "best toilet paper in the world" appear to have been manipulated to return images of the Pakistan national flag. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | নাসার নতুন অবতরণকারী নভোযান ইনসাইট ১৯৬০ সালের প্রথম অভিযানের পর থেকে এই গ্রহে পাঠানো প্রোবের সিংহভাগই অকার্যকর হয়েছে; ধ্বংস হয়েছে শেষ সাতটি প্রোবের তিনটি। কিন্তু মঙ্গল অভিযানে যাওয়া অধিকাংশ প্রোব কেন মঙ্গল পৃষ্ঠে নামতে সফল হয় না? মঙ্গলপৃষ্ঠে শিয়াপারেলি অবতরণ করলে এরকম দেখা যেতো শিয়াপারেলি ২০১৬ সালের ১৬ই অক্টোবর প্যারাসুট এবং থ্রাস্টারের মিশ্রণে অপেক্ষাকৃত জটিল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলপৃষ্ঠে একটি প্রোব অবতরণ করানোর চেষ্টা করে ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা। তবে তাদের পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি। ২৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা নভোযানটি ৫০ কোটি কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করার পর প্যারাসুট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘন্টায় ৫৪০ কিলোমিটার গতিবেগে মঙ্গলপৃষ্ঠে পতিত হয় শিয়াপারেলি। মঙ্গলপৃষ্ঠে শিয়াপারেলি'র ধ্বংসাবশেষ; স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি ফোবোস-গ্রান্ট শিয়াপারেলি অকার্যকর হলেও সেটি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌছাতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়ার ফোবোস-গ্রান্ট শিয়াপারেলির ধারেকাছের দূরত্বও অতিক্রম করতে পারেনি। এই মিশনটি একটু বেশি উচ্চাভিলাষী ছিল - মঙ্গলের একটি চাঁদে অবতরণ, সেখান থেকে পাথরের নমুনা সংগ্রহ এবং পৃথিবীতে ফেরত আসা ছিল এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। ফোবোস-গ্রান্টের মঙ্গলে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৪৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে পেরেছিল সেটি এটি সফল হলে পৃথিবীর চাঁদ ছাড়া মহাকাশের অন্য যে কোনো অংশের পাথরের নমুনা পাওয়ার ঘটনা ঘটতো প্রথমবারের মতো। কিন্তু সৌরজগতে কয়েকশো কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়া তো দূরের কথা, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পরই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় ফোবোস-গ্রান্টের। ২০১১ সালের ৮ই নভেম্বরে উৎক্ষেপণের পরপরই যান্ত্রিক গোলযোগ হয় প্রোবটিতে। প্রোবের সাথে থাকা রকেট বিস্ফোরণের মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিল; ঐ রকেট বিস্ফোরিত হয়নি, ফলে প্রোবটি পৃথিবীর কক্ষপথই ছাড়াতে পারেনি। উৎক্ষেপণের দুই মাস পর ভূপাতিত হয় ফোবোস গ্রান্ট; বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় পুড়েও যায় নভোযানটি। বিগল ২ পরিকল্পনামাফিক অবতরণ করলেও কোনো বার্তা পাঠাতে ব্যর্থ হয় বিগল ২ ফোবেস-গ্রান্ট এবং শিয়াপারেলি যা করতে পারেনি, বৃটিশ অবতরণকারী বিগল ২ তা করতে পেরেছিল; ২৫শে ডিসেম্বর ২০০৩ সালে। এটি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছায় এবং সফলভাবে মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণও করে। এবং তখন থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। বিগল ২ কখনো পৃথিবীতে কোনো বার্তা পাঠায়নি এবং এর ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে, তা বহুবছর রহস্যাবৃত ছিল। ২০১৫ সালে নাসার মার্স রিকনাইসান্স অরবিটার (যেটি শিয়াপারেলি'র ধ্বংসাবশেষেরও ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছিল) বিগল ২ এর ছবি তোলে। ছবি থেকে ধারণা করা হয় বিগল ২ এর একটি সোলার প্যানেল ঠিকভাবে উন্মুক্ত হয়নি, যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ একটি রেডিও অ্যান্টেনার (যার মাধ্যমে পৃথিবীতে বার্তা পাঠানোর কথা ছিল) কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হয়। ২০০৭ এর হলিউড সিনেমা ট্রান্সফর্মার্স এ দেখানো হয় বিগল ২ তবে এই নভোযানের অসফলতার মধ্যেও একটা অপ্রত্যাশিত অর্জন ছিল - হলিউডের একটি সিনেমায় সুযোগ পেয়ে যায় বিগল ২। ২০০৭ সালের জনপ্রিয় সিনেমা 'ট্রান্সফর্মার্স' এ দেখানো হয় যে বিগল ২ মঙ্গলগ্রহে সফলভাবে অবতরণ করে, আর তার প্রায় সাথে সাথেই একটি ডিসেপ্টিকন (মানব বিদ্বেষী এক জাতীয় কাল্পনিক রোবট) সেটিকে ধ্বংস করে। | The American space agency Nasa has launched its latest mission to Mars. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ১৯৯৬ সালে আরব বিশ্বের প্রথম ২৪ ঘণ্টার সংবাদ চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আল জাজিরা। তেল এবং গ্যাস সম্পদে ভরপুর দেশটির অর্থনৈতিক শক্তিকে বৈশ্বিক প্রভাবে রূপান্তর করার একটি বড় নিদর্শন হচ্ছে এই গণমাধ্যম। দুই দশকব্যাপী প্রচেষ্টার ফলাফলের মধ্যে রয়েছে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন। তবে কাতারের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সংকটের ফলে এই হাই প্রোফাইল নেটওয়ার্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দানা বাঁধছে। আল জাজিরার সংবাদ বিভিন্ন আরব দেশে বিতর্ক এবং ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম মিশর। হোসনি মোবারকের পতন, আরব বসন্ত এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ মোরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে সংস্থাটির সংবাদ মিশরের বর্তমান কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে নেয়নি। অবশ্য বর্তমান সঙ্কটের উত্তাপ আগেই অনুভব করেছিল আল জাজিরা। মে মাসের শেষ নাগাদ তাদের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর এবং বাহরাইন। মিশরের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসির সমর্থকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল আল জাজিরা। এই সবগুলো দেশই গত ৫ই জুন জঙ্গিবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগে কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সৌদি আরব আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে এবং তাদের লাইসেন্স বাতিল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন করার অভিযোগ এনেছে। আল জাজিরা দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের স্বাধীন এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম হিসেবে দাবী করে আসছে। কাতার এখন নিজেদের বিচ্ছিন্ন এবং অরক্ষিত হিসেবে দেখছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠিদের সমর্থনের অভিযোগ তারা অস্বীকার করছে, কিন্তু উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসানে তাদের ওপর ছাড় দেয়ার চাপ বাড়বে। সঙ্কটের ফলে তাদের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দৃশ্যত: জনশূন্য হয়ে পড়েছে এবং দেশটির বাসিন্দারা খাদ্যপণ্যের মজুদ করছেন। দোহা থেকে বিবিসি আরবি বিভাগের ফেরাস কিলানি বলেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে গণমাধ্যমের সংস্কার করার জন্য কাতারের ওপর শর্ত দেয়া হবে। আল জাজিরা হয়তো বন্ধ হবে না, তবে তার সম্পাদকীয় নীতিমালায় পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, লন্ডনভিত্তিক কাতারি আল আল-আরাবি টিভি নেটওয়ার্ক হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। "অনেক বছর ধরে আল জাজিরা উপসাগরীয় দেশগুলো এবং মিশরের জন্য গলার কাঁটা হয়ে আছে"- আমিরাতি ভাষ্যকার সৌদ আল কাশেমি তার কলামে লেখেন। কাতারকে বিচ্ছিন্ন করার কৃতিত্ব দাবি করলেন ট্রাম্প কাতার সংকট: কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার? ২০১৫ সালে 'মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর' অভিযোগে আল জাজিরার তিনজন সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করে মিশর, বিশ্বজুড়ে সেই ঘটনা নিন্দিত হয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০০২ সালে আল জাজিরায় সৌদিদের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনার কভারেজ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কাতার থেকে রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয় সৌদি আরব। ২০০৮ সালে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে আবারো কূটনৈতিক বিবাদে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং বাহরাইন তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নেয়। সেসময় কাতার উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে "হস্তক্ষেপ" না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এবার কাতারের প্রতিবেশীরা "যেকোন ধরণের মধ্যস্থতার আগে আল জাজিরা টিভি নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার দাবী তুলবে" বলেন মি. কাশেমি। এমনটাই যদি হয় তাহলে গণমাধ্যম জগতে কাতারের অবস্থান এবং আল জাজিরার বিশ্বজুড়ে তিন হাজারেরও বেশি কর্মীর ভাগ্যে বেশ খারাপ পরিণতি অপেক্ষা করছে। মন্তব্যের জন্য আল জাজিরার সাথে যোগাযোগ করেছে বিবিসি। লন্ডনের কিংস কলেজের কাতার বিশেষজ্ঞ, ডেভিড রবার্টসও একমত যে উপসাগরীয় দেশ এবং মিশর আল জাজিরাকে কাতারের "খরচের খাতায়" চাইবে। আল জাজিরা কার্যালয় "তবে এটি একটি দেন-দরবারের বিষয় এবং এমুহূর্তে এমন কোন নিশ্চয়তা নেই যে কাতার নতি স্বীকার করবে" মি. রবার্টস বিবিসিকে বলেন। তিনি বলেন, যদিও আল জাজিরা আরাবিক এখন তুলনামূলক নরম সুরে কথা বলছে "তবে তারা এখনো বিশেষ করে মিশরকে এখনো খোঁচা দিয়ে যাচ্ছে"। "তবে চ্যানেলটি প্রায় এক দশক আগেই সৌদি আরবের সমালোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে- প্রথমবার তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়ার পর থেকে"। আরও পড়ুন: কাতারকে সমর্থন করলে আমিরাতে ১৫ বছরের জেল বিশ্লেষণ: আইএস যেভাবে টার্গেট করছে ইরানকে 'হামলাকারীরা ইরানী তবে আইএসে যোগ দিয়েছিলো' | Qatar's Al Jazeera media network has undoubtedly put the tiny Gulf state on the international map. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ল্যারি কিং - ছয় দশকের অনন্য সাংবাদিক জীবনের অবসান ঘটলো। ছয় দশক ধরে বিস্তৃত সাংবাদিকতার কেরিয়ারে ল্যারি কিং প্রায় ৫০,০০০ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২৫ বছর তিনি সিএনএন টিভির জনপ্রিয় ল্যারি কিং লাইভ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন। তিনি লস এঞ্জেলসের সেডার্স-সাইনাই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে এর আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ল্যারি কিং হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। পাশে বসা ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাল গোর। মি. কিং তার কর্মময় জীবনে বহু বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তির সাক্ষাতকার নিয়েছেন, যাদের মধ্যে ছিলেন লেডি গাগা, ফ্র্যাংক সিনাত্রার মতো জন-নন্দিত গায়ক থেকে শুরু করে দলাই লামা, নেলসন ম্যান্ডেলা ও ভ্লাদিমির পুতিনের মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। "৬৩ বছর ধরে রেডিও, টিভি এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় ল্যারি যে হাজার হাজার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, যেসব পুরষ্কার পেয়েছেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন সেটাই ব্রডকাস্টার হিসেবে তার অন্য মেধার পরিচয় বহন করে, তার নিজের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যম ওরা মিডিয়ার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সিএনএন টিভিতে তার শেষ অনুষ্ঠানে ল্যারি কিং বলেছিলেন, " দর্শক আপনাদের কী বলবো জানিনা। ধন্যবাদ ছাড়া কী বা বলতে পারি। গুড বাই না বললেও বলছি, আবার দেখা হবে।" নিউইয়র্কে ২০০০ সালে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার নেন। | Veteran broadcaster Larry King, 87, has tested positive for coronavirus and is being treated at a hospital in Los Angeles, according to US media. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | এ ধরণের সাবমেরিন গভীর সমুদ্রে গবেষণা ও গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করা হয়---ফাইল ফটো দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগুনের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে ঐ নাবিকেরা মারা গেছেন। সোমবার এই সাবমেরিনটি রাশিয়ার জলসীমা পরিমাপের করার কাজ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার খবর দিলেও সাবমেরিনটি কী ধরণের, এবং তাতে মোট কতজন ক্রু ছিলেন--এ নিয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে আগুন নেভানো হয়েছে এবং সেটি এখন রাশিয়ার সেভেরোমর্স্কে উত্তরাঞ্চলীয় মূল সামরিক ঘাটিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: ইউক্রেনের যুদ্ধজাহাজ দখল করেছে রাশিয়া নতুন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দেবে সামরিক ভারসাম্য রাশিয়ার সামরিক মহড়ায় চীন কেন যোগ দিল? সেভেরোমর্স্ক রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় মূল সামরিক ঘাটি এ দুর্ঘটনাকে রুশ নৌবাহিনীর জন্য বিরাট ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুর্ঘটনার পর মি. পুতিন অন্য কর্মসূচী বাতিল করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে জরুরী বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই সোইগু সেভেরোমর্স্কে পরিদর্শনে গেছেন। মি. পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পদবী হিরো অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন জয়ী সাতজন ক্যাপ্টেন এবং দুইজন সার্ভিস পার্সোনেল এতে নিহত হয়েছেন। কী কাজে ব্যবহার হয় এই সাবমেরিন? রুশ গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার মুখে পড়া সাবমেরিনটি ছিল একটি পারমাণবিক মিনি-সাবমেরিন। এটি পারমাণবিক বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া একটি এএস-টুয়েলভ মিনি সাবমেরিন। রুশ সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরণের সাবমেরিন গভীর সমুদ্রে গবেষণা, গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিশেষ অভিযানের কাজে ব্যবহার করা হয়। বিবিসি সংবাদদাতা উইল ভারনন জানিয়েছেন, এই বিশেষ সাবমেরিন দিয়ে সমুদ্রের নিচে কেবলস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, এ ধরণের সাবমেরিন দিয়ে রাশিয়া গুপ্তচরবৃত্তি করা ও মার্কিন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সংবাদদাতা স্টিভ রোজেনবার্গ বলছেন, সাবমেরিন দুর্ঘটনা কেবল রাশিয়াতেই ঘটে তা নয়, কিন্তু রুশ সাবমেরিনে এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় সব সময়। ২০০০ সালে পারমানবিক বিদ্যুতচালিত আরেকটি সাবমেরিনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১৮জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালেও আরেকটি সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ২০জন নাবিক নিহত হয়েছিলেন। তবে, সাবমেরিন দুর্ঘটনার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৩ সালে, তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ায় ডাইভিং পরীক্ষা চালানোর সময় ১২৯ জন নাবিক নিয়ে ডুবে গিয়েছিল ইউএসএস থ্রেশার। ঐ সাবমেরিনের সব যাত্রী মারা গিয়েছিলেন। | A fire aboard a Russian navy research submersible has killed 14 crew members, the Russian defence ministry says. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | সীমান্তে বিএসএফের সৈন্য। এসময় তার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ঢাকার বাইরে রাজশাহীতেও যাবেন তিনি। কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানে তিনি দু'দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, মি. সিং-এর এই সফরকালে সীমান্ত এলাকায় মাদক ও নারী শিশু পাচারের মতো অপরাধ, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন এক সময়ে বাংলাদেশে যাচ্ছেন যখন বিএসএফের সৈন্যদের হাতে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমে গেছে। বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র বলছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত গত ছয় মাসে সীমান্তে বিএসএফের হাতে শারীরিক নির্যাতনে তিনজন নিহত হয়েছে এবং গুলিতে কেউ নিহত হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে সীমান্তে নিহত হয়েছিল ২৫ জন। তাদের মধ্যে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল বিএসএফের জওয়ানদের গুলিতে। ২০১৬ সালে নিহত হয়েছে ৩০ জন এবং ২০১৫ সালে ৪৬ জন। তবে এবছর যে তিনজন নিহত হয়েছে তারা ঠিক কী ধরনের নির্যাতনে মারা গেছে সেসব কারণের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বলা প্রয়োজন যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব পরিসংখ্যান তৈরি করে। আইন ও শালিস কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে সীমান্ত হত্যার খবর। আরো পড়তে পারেন: পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা ভারত ছাড়ছেন কেন হোয়াটসঅ্যাপ ভাইরাল মেসেজে ধরা পড়লো ধর্ষণকারী দ্বিতীয় সেমিফাইনাল: এগিয়ে ইংল্যান্ড না ক্রোয়েশিয়া? বাংলাদেশের অন্য আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারও বলছে, এবছর সীমান্তে বিএসএফের হাতে তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। কিন্তু গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৯২। ২০১৬ সালে ৮৭ এবং ২০১৫ সালে নিহত হয়েছিল ১৩২ জন। কিন্তু আইন ও শালিস কেন্দ্র এবং অধিকারের এই পরিসংখ্যানের মধ্যে একটা বড় রকমের পার্থক্য চোখে পড়ে। এই অমিলের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট এবং তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতেই তারা তাদের প্রতিবেদন তৈরি করেন থাকেন। তারা চেষ্টা করেন, যতোটা সম্ভব প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে। বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সীমান্ত-হত্যা বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত দুটো দেশের ইতিবাচক অবস্থানের কারণে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য রকমের উন্নতি ঘটেছে। আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এব্যাপারে ভারত সরকারের মনোভাবেরও বড়ো রকমের পরিবর্তন ঘটেছে। এবিষয়ে একটি ঘটনার উদাহরণ দিয়েছেন তিনি- মাস দুয়েক আগে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে ২০ বছরের এক তরুণ বিএসএফের ছররা গুলিতে আহত হয়েছিলেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আইন ও শালিস কেন্দ্র বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। তখন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন থেকে তাদেরকে বলা হয়েছে যে ভারত সরকার ওই তরুণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। শীপা হাফিজা বলেন,"আহত যুবককে ভারতে নিয়ে গিয়ে তাদের নিজেদের খরচে চিকিৎসা দিতে রাজি হয়েছে ভারত সরকার। এখন তার পাসপোর্ট তৈরির কাজ চলছে।" সীমান্ত পরিস্থিতির এই উন্নতির পেছনে কী কাজ করেছে জানতে চাইলে শীপা হাফিজা বলেন, বিএসএফের সৈন্যদের হাতে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো খুবই সোচ্চার। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ সরকার এসব সংগঠনের কথায় কান দিয়ে বিষয়টি ভারত সরকারের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরেছে। "তবে এই বিষয়টি যাতে শুধু দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। এটার প্রতিফলন ঘটতে হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নীতিমালাতেও। তা নাহলে ভারত কিম্বা বাংলাদেশ - যে কোন দেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিস্থিতি আবারও আগের পর্যায়ে চলে যেতে পারে," বলেন শীপা হাফিজা। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশ সরকারও বলছে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর গুলিতে এখন আর কোন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমিয়ে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, "বিএনপির আমলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকট আকার ধারণা করেছিল। কিন্তু এর পরে আমাদের সরকারের আমলে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দু'দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছি।" ভারত সরকারও বলছে যে তাদের বাহিনীর সৈন্যদের হাতে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে না। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক কে. কে. শর্মা কয়েক মাস আগে বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ভারতীয় সৈন্যরা এখন আর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করছে না। "প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার কারণে আমাদের জওয়ানদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। চোরাকারবারিরা জানে যে বিএসএফের সৈন্যরা গুলি করবে না, তাই তারা আমাদের উপর আক্রমণ করছে। কিন্তু তারপরেও বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করছে না। কারণ এই অস্ত্র আর ব্যবহার করা হবে না এটা আমাদের সরকারে সিদ্ধান্ত।" বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত প্রায় ২৫০০ মাইল লম্বা। এই সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম আর ভারতের অংশে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য মতে, ভারত সরকার সীমান্তে ২০০০ মাইলেরও বেশি লম্বা কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করেছে। এই বেড়ার উচ্চতা প্রায় তিন মিটারের মতো। অধিকার বলছে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বহুদিনের। তার মধ্যে রয়েছে নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা, নির্যাতন এবং অপহরণ। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক চুক্তিরও লঙ্ঘন। সীমান্তে সহিংসতা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে বিশ্বের রক্তাক্ত সীমান্তগুলোর একটি উল্লেখ করে অধিকারের মানবাধিকার কর্মীরা এও বলছেন, শুধু তাই নয়, বিএসএফের জওয়ানরা অনেক সময় অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকেও বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর হামলা চালায় ও তাদেরকে অপহরণ করে থাকে। অধিকারের হিসেবে অনুসারে ২০০০ সালের পর থেকে গত ১৮ বছরে বিএসএফ সৈন্যদের হাতে ১,১৩৬ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ২০০৬ সালে, ১৫৫ জন। অধিকার বলছে, বিএসএফের হাতে গত ১৮ বছরে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১,৩৬০ আর সবচেয়ে বেশি অপহরণ হয়েছে ওই একই বছরে (২০০৬), ১৬০টি। তারপরে ২০১৩ সালে, ১২৭টি। | Indian External Affairs Minister K. Natwar Singh arrived in Sri Lanka on a three-day official visit beginning Thursday. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | লিওনেল মেসি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ হিসেবে আগামী শনিবার জেরুসালেমে এ খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েইন ইএসপিএন স্পোর্টসকে ম্যাচ বাতিলের কথাটি জানিয়েছেন। "তারা শেষ পর্যন্ত সঠিক কাজটি করেছে," মি: হিগুয়েইন এ কথা বলেছেন ইএসপিএন স্পোর্টসকে। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমে এ ম্যাচ বাতিলের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি ফুটবল এসোসিয়েশন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। এদিকে ইসরায়েলের সংস্কৃতি মন্ত্রী মিরি রেগেভ জেরুসালেম পোস্ট পত্রিকাকে বলেছেন, "আমি আশা করি এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা জাতীয় কোন সন্ত্রাসবাদের জন্ম দেবে না।" আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ বাতিলের খবর গাজায় ছড়িয়ে পড়ার পর ফিলিস্তিনদের মাঝে বেশ উৎফুল্ল ভাব দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনদের বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে ফিলিস্তিনি ফুটবল এসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সাথে ম্যাচ বাতিলের জন্য আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি এবং তাঁর সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। "মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং খেলা জয়লাভ করেছে এবং এ ম্যাচ বাতিলের মাধ্যমে ইসরায়েলকে লাল কার্ড প্রদর্শন করা হয়েছে," বলেছেন ফিলিস্তিনি ফুটবল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জিবরি রাজৌব। পশ্চিম তীরে লিওনেল মেসির একটি পোস্টারে লেখা হয়েছে, " আপনি একটি দখলকৃত জায়গায় প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। মানবতার পক্ষে দাঁড়ান।" বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: গাজায় ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতে এত মৃত্যু কেন? আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল মেসির বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র হয়তো কোথাও হারিয়ে গেছে: ম্যারাডোনা এ ম্যাচ বাতিলের আগে মি: রাজৌব ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা যাতে লিওনের মেসির ছবি এবং নকল জার্সিতে অগ্নিসংযোগ করে। ফিলিস্তিনি ক্যাম্পেইন গ্রুপ আভাজ এ ম্যাচ বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলো। ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা আসার পর তারা আর্জেন্টিনার সিদ্ধান্তকে "সাহসী নৈতিক সিদ্ধান্ত" হিসেবে বর্ণনা করেছে। আভাজ ক্যাম্পেইন গ্রুপের পরিচালক অ্যালিস জে বলেছেন, "এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে জেরুসালেমে খেলার সাথে বন্ধুত্বের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ এর কয়েক মাইল দূরে ইসরায়েলি বন্দুকধারীরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনদের গুলি করে মারছে।" বিশ্বকাপের আগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার জন্য সর্বশেষ প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ।পশ্চিম জেরুসালেমের একটি স্টেডিয়ামে এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। জেরুসালেম ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের জন্য খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। পুরো জেরুসালেমকে ইসরায়েল মনে করে অবিভক্ত রাজধানী।অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুসালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে মনে করে। আর্জেন্টিনা এবং ইসরায়েল ম্যাচটি প্রথমে হাইফা শহরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি পশ্চিম জেরুসালেমে সরিয়ে আনা হয়। এ সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ করেছিল ফিলিস্তিনিদের। গতমাসে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে আনার মাধ্যমে শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। আরো দেখতে পারেন: যে ফিলিস্তিনি মেয়ের বিচার নিয়ে তোলপাড় সংকটের মধ্যে নগদ অর্থ ও গরু বাঁচিয়েছে কাতারকে বিশ্বকাপে ফ্লার্ট করা নিয়ে বিপাকে আর্জেন্টিনা কিভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল সুপারস্টার ম্যারাডোনার ফুটবল কেরিয়ার | Argentina has cancelled a football World Cup warm-up match with Israel, apparently under pressure over Israel's treatment of Palestinians. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের সঙ্গে হলে তিনি সম্মানিত বোধ করবেন, অবশ্য যদি সেটা সঠিক সময়ে হয় সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গকে মি. ট্রাম্প বলছেন, ''তাঁর সঙ্গে (কিম জং-আন) দেখা করার ব্যাপারটি যদি আমার জন্য যৌক্তিক হয়, তাহলে অবশ্যই আমি দেখা করবো। এটা আমার জন্য সম্মানেরও হবে।'' আগের দিনই মি. কিমকে তিনি 'যথেষ্ট চালাক ব্যক্তি' বলে বর্ণনা করেছিলেন। আরো পড়তে পারেন: জাকারবার্গকে বাড়িতে পেয়ে মুগ্ধ আমেরিকান দম্পতি কীভাবে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন এরদোয়ান? কেমন যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী দিনগুলো? মি. ট্রাম্পের নতুন এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক পরীক্ষা কর্মসূচী নিয়ে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে। তবে মি. ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। সেখানে বলা হয়েছে, 'দুই নেতার মুখোমুখি কোন সাক্ষাৎ করতে হলে হলে, উত্তর কোরিয়াকে অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে।' উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জের ধরে কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা চলছে। আর যেকোনো সময় পারমানবিক পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। এখনো সে রকম পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে বলছে হোয়াইট হাউজ। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শেন স্পাইসার বলেছেন, বিশেষভাবে তারা দেখতে চান যে, অতিসত্বর উত্তর কোরিয়া তাদের উস্কানিমুলক আচরণ বন্ধ করেছে। রবিবার সিবিএস টেলিভিশনে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে কিম জং-আনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ''অনেকে বলে, তিনি কি একটি শয়তান? সে বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। তবে যখন তার বাবা মারা যায়, তখন তিনি ২৬/২৭ বছরের একজন তরুণ। অবশ্যই অনেক কঠিন মানুষজনের সাথে তার কাজ করতে হয়, বিশেষ করে জেনারেলদের সঙ্গে। যাদের অনেকেই হয়তো ক্ষমতায়ও ভাগ বসাতে চায়। যাদের মধ্যে হয়তো তার ফুপা বা অন্য কেউ থাকতে পারে। এসবের মধ্যেও তিনি ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। সুতরাং, তিনি অবশ্যই বেশ চালাক একজন ব্যক্তি।'' মি. ট্রাম্প যখন এসব কথা বলছেন, কোরিয়া উপদ্বীপে তখন উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়া, উভয় দেশই সামরিক মহড়া শুরু করেছে। আর যেকোনো সময় পারমানবিক পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় তারা যে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, তা এখন পুরোপুরি কার্যক্ষম হয়েছে। | US President Donald Trump has said he would be "honoured" to meet North Korean leader Kim Jong-un, in the right circumstances. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ভিডিও ফুটেজ থেকে নেয়া বিক্ষোভের ছবি ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বাস করেন অনেক বাংলাদেশী নাগরিক। পাঁচ দিন ধরে চলা বিক্ষোভের আঁচ কতটা পাচ্ছেন তারা? সেখানে কর্মরত একজন বাংলাদেশি পেশাজীবী মিস্টার শরীফ বলছিলেন, যানবাহনে বা রাস্তায় চলাচলে কোন বিধিনিষেধ নাই। স্থানীয় পত্রিকায় বিক্ষোভের খবর প্রকাশ হয়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মারফত জানা যাচ্ছে সারা দেশের বিক্ষোভের খরব। মূলত এই শহরগুলোতেই বিক্ষোভ চলছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সরকারের সমর্থনে যেসব র্যালী হয়েছে, সেগুলো প্রচার হয়েছে। আর সেসবই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে। তবে, ইরানে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সাধারণ ইরানিদের সহানুভূতি আছে। এর প্রধান কারণ সবাই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে জিনিসপত্রের দাম। সেই সঙ্গে পারমানবিক চুক্তি হবার আগে স্থানীয় মানুষজনের প্রত্যাশা ছিল যে অর্থনীতির অবস্থা ভালো হবে। কিন্তু প্রত্যাশা মাফিক কোন অগ্রগতি সাধারণ মানুষের জীবনে হয়নি, যা হতাশা তৈরি করেছে। আরো পড়ুন:ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটে পাক-মার্কিন বাকযুদ্ধ শুরু ইরানে বিক্ষোভকারীদের বড় অস্ত্র সোশ্যাল মিডিয়া ইরানের এই রিভোলিউশনারি গার্ডস আসলে কারা? মিঃ শরীফ জানিয়েছেন, ইরানে বিবিসির সম্প্রচারে সরকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফলে খবরের জন্য তারা নির্ভর করছেন আল জাজিরা ও সিএনএনের ওপর। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর বেশিরভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেটের গতিও ধীর হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন মিঃ শরীফ। এর মূল কারণ ইরানে বিক্ষোভকারীরা তাদের প্রতিবাদী কর্মসূচিগুলো ছড়িয়ে দেবার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে, বিশেষত টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রামে। বিশেষ করে টেলিগ্রাম ইরানে খুবই জনপ্রিয়। দেশটির জনসংখ্যা ৮ কোটি এবং তার মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি টেলিগ্রামে সক্রিয়। এদিকে, বিক্ষোভের পঞ্চমদিনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় মিছিল সমাবেশ এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইরানে বিক্ষোভ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেশটির মূল শহরগুলোর একটিতে সংঘর্ষে একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বের মাশা্দ শহর থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ গত চার-পাঁচদিনে অনেকগুলো শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হবার খবর দিয়ে রাষ্ট্রীয় টিভি। যদিও সব মিলিয়ে মোট ১৩জনের মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে। জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধির মতো অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে এ বিক্ষোভ শুরু হলেও এখন তা রাজনৈতিক চেহারা নিয়েছে এবং এগুলো থেকে ধর্মীয় নেতা-নিয়ন্ত্রিত সরকারকে উৎখাতের ডাকও দেয়া হচ্ছে। | Protests in Iran continued late into Monday, despite the president saying that the unrest "is nothing". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | সাথে শিশুরা থাকলে বেশি পরিমাণ অর্থ ভিক্ষা পাওয়া যায় বলে জানান শহরের ভিক্ষুকরা কাম্পালার'র লর্ড মেয়র এরিয়াস লুকওয়াগো জানিয়েছেন ব্যবসায়িক কাজে এবং যৌন ব্যবসায় শিশুদের ব্যবহার কমানোর উদ্দেশ্যে এই আইনটি পাস করা হয়েছে। উগা্ডার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কাম্পারার রাস্তায় ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১৫ হাজার পথশিশু বসবাস করে। এই আইনের বিধি অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা ১১ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। বিবিসি'র উগান্ডা প্রতিনিধি ডিয়ার জেয়ান জানান গ্রাম থেকে অনেক শিশুকেই শহরে নিয়ে আসা হয় এবং জোর করে তাদের দিয়ে নানা রকম কাজ করানো হয়ে থাকে। এই ধরণের ব্যবসা থামাতে এই নতুন আইনের অধীনে পতিতাবৃত্তির জন্য শহরে বাসা ভাড়া করা বা ভিক্ষা করা বা শিশুদের দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা চালানোও আইনত অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কাম্পালা'র ৬০ বছর বয়সী এক ভিক্ষুকঅ্যানি কুতুরেগিয়ে কিছু বেশি পরিমাণ ভিক্ষা পাওয়া আশায় সাথের শিশুদের দেখিয়ে মানুষের মন গলানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, "যতক্ষণ গ্রাম থেকে শিশুরা আসবে, ততক্ষণ আমরা রাস্তায় ভিক্ষা করবো।" "আমরা কারাবন্দি হতে প্রস্তুত।" কাম্পালা'র মেয়র মি. লুকওয়াগো বলেছেন যেসব অভিভাবক এবং শিশু পাচারকারী শিশুদের 'পেছনে ছুটছেন', তাদের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে এই আইন। যেসব বাবা-মা'র সন্তানদের রাস্তায় ভিক্ষা করতে বা রাস্তায় কাজ করতে দেখা যাবে, সেসব বাবা-মা'কেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। "দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশুদের নিয়ে এসে কাম্পালায় ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করা বর্তমান একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এটি বন্ধ করতে চাই আমরা", বলেন মি. লুকওয়াগো। বর্তমানে শুধুমাত্র কাম্পালাতেই প্রযোজ্য রয়েছে এই আইন। | Uganda's capital Kampala has passed a law to ban giving money or food to children living on the streets. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | অ্যাপটি ভাইরাল হয়েছে- কিন্তু কতজন এর শর্তাবলী পড়েছেন? এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের চেহারার ছবি এডিট করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু গত কয়েক দিনে যখন থেকে ফেস এডিটিংয়ের এই অ্যাপটি ভাইরাল হয়েছে, তখন থেকে কিছু মানুষ এর শর্তাবলী নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে উপাত্ত সংগ্রহ করছে তারা। আরো পড়তে পারেন: গায়ের রং ফর্সা করার 'বর্ণবাদী' অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক খাদ্যে ক্যান্সারের অণুজীব খুঁজে দেবে মোবাইল অ্যাপ অ্যাপ দিয়ে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে হংকংয়ের বিক্ষোভ তবে ফেসঅ্যাপ এক বিবৃতিতে বলেছে, আপলোড করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের সার্ভার থেকে ছবি ডিলিট করে দেয় তারা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে যে, এর ব্যবহারকারীরা যে সব ছবি এডিটিং করার জন্য নির্ধারণ করেন শুধু সেসব ছবিই আপলোড করে থাকে অ্যাপটি। অন্য কোন ছবি নয়। ফেসঅ্যাপ কি? ফেসঅ্যাপ নতুন কিছু নয়। দুই বছর আগে তারা "জাতিসত্ত্বা নির্ধারণকারী ফিল্টার" নামে একটি ফিল্টার ব্যবহার করে খবরের শিরোনামে এসেছিলো। ওই ফিল্টারটি দিয়ে এক জাতির মানুষের চেহারা অন্য আরেকটি জাতির চেহারায় কেমন দেখায় তা প্রকাশ করা হতো। তবে প্রায় সাথে সাথেই এটির প্রতি নেতিবাচক সমালোচনা তৈরি হয় এবং পরে অ্যাপটি বাদ দেয়া হয়। হাতে আঁকা ছবিতেও কাজ করে অ্যাপটি অ্যাপটি কোন ধরণের অভিব্যক্তি ছাড়া মুখকে বা রাগান্বিত অভিব্যক্তি সহ মুখকে হাসিমুখে পরিণত করতো। এমনকি এটি মেক-আপ লুকও নিয়ে আসতে পারতো। কৃত্রিম মুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এই অ্যাপটি কাজ করতো। এর গাণিতিক পরিভাষা বা অ্যালগরিদম প্রথমে আপনার মুখের একটি ছবি নিতো আর পরে এটিকে নিজেদের মতো করে পরিবর্তন করে প্রকাশ করতো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বাভাবিক বা ন্যাচারাল লুক আনার জন্য এটি আপনার মুখ, থুতনি এবং গালে বিভিন্ন ধরণের রেখা সমন্বয় করার সময় অ্যাপটি আপনার ছবিতে দাঁত বের করা হাসিও জুড়ে দিতে পারতো। তাহলে সমস্যা কী? সম্প্রতি অ্যাপ ডেভেলপার জশুয়া নজি এক টুইটে অভিযোগ করেন যে, ফেসঅ্যাপ অনুমতি না নিয়েই ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের সংরক্ষিত ছবি আপলোড করছে। যার পরপরই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। ফরাসি এক সাইবার নিরাপত্তা গবেষক, যিনি ইলিয়ট অ্যালডারসন ছদ্মনাম ব্যবহার করেন, তিনি এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন। তিনি দাবি করেন যে, এ ধরণের বড় মাপের কোন আপলোডিং হচ্ছে না। ব্যবহারকারীরা যে ছবি জমা দিতে রাজি হয় সেসব ছবি নিয়েই কাজ করে এই ফেসঅ্যাপটি। ফেসঅ্যাপ বিবিসিকে এটা নিশ্চিত করেছে যে, ব্যবহারকারীর দেয়া ছবিই শুধু আপলোড করা হয়। ফেসিয়াল রিকগনিশন কিভাবে হয়? অনেকে বলছেন যে, ফেসঅ্যাপ দিয়ে ছবি থেকে সংগ্রহ করা তথ্য ফেসিয়াল রিকগনিশন বা মুখের অবয়ব ও গড়ন সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে। আর এটা করা যেতে পারে, আপলোড করা ছবি ডিলিট করে দেয়ার পরও। কারণ ওই ব্যক্তির মুখের বৈশিষ্ট্য পুনরায় সংগ্রহ করা যায় এবং এ ধরণের কাজে ব্যবহার করা যায়। "না, ফেসিয়াল রিকগশিন প্রশিক্ষণের জন্য আমরা ছবি ব্যবহার করি না," বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়ারোস্লাব গনশারভ। তিনি বিবিসিকে বলেন, "শুধু ছবি এডিটের জন্য আমরা এগুলো ব্যবহার করি।" এখানেই কি শেষ? না। কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে যে, ক্লাউডে না পাঠিয়ে ফেসঅ্যাপটি যেহেতু তাত্ত্বিকভাবে শুধু স্মার্টফোনেই ছবি এডিট করে তাহলে এটিতে ক্রমাগত ছবি আপলোড করতে হয় কেন? ফেসঅ্যাপের যে সার্ভারে ব্যবহারকারীদের ছবি সংরক্ষিত হয় সেটি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। অথচ ফেসঅ্যাপ নিজে একটি রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান যাদের সেন্ট পিটার্সবার্গে অফিস রয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: 'আয়শার পক্ষে দাঁড়াননি বরগুনার কোন আইনজীবী' ইবোলা নিয়ে ‘বৈশ্বিক জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা হিন্দু ছাত্রীকে কোরান বিলির নির্দেশ ভারতের আদালতের ফেসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের এডিটিং করা সম্ভব সাইবার নিরাপত্তা গবেষক জেন মানচুন ওং এক টুইটে লেখেন, "এর ফলে ফেসঅ্যাপ একটি সুবিধা পেয়েছে। কারণ অন্য কারো পক্ষে একই ধরণের আরেকটি অ্যাপ তৈরি করে সেটি কীভাবে কাজ করে তার গাণিতিক হিসাব বোঝা সম্ভব নয়।" এ কথায় সমর্থন জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের স্টিভেন মার্ডক। বিবিসি নিউজকে তিনি বলেন, "ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এটা ভালো যে ছবিগুলোকে স্মার্টফোনের মধ্যেই প্রক্রিয়াজাত করা হয়। কিন্তু এটির গতি ধীর হবে, বেশি পরিমাণে ব্যাটারির চার্জ চলে যাবে আর ফেসঅ্যাপ প্রযুক্তিটি চুরি হওয়াও অনেক সহজ হয়ে যাবে।" মার্কিন আইনজীবি এলিজাবেথ পটস ওয়েনস্টেইন বলেন, অ্যাপটির শর্তাবলী অনুযায়ী, ব্যবহারকারীর ছবি বাণিজ্যিক কাজে - যেমন ফেসঅ্যাপের নিজস্ব বিজ্ঞাপন তৈরিতে - ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু টেক সাইট লাইফওয়্যার এর প্রধান সম্পাদক ল্যান্স উলানফ তার যুক্তিতে বলেন, এ ধরণের শর্ত টুইটারের শর্তাবলীতেও রয়েছে। ব্যবহারকারীরা কি এসব কিছু জানেন? অনেকের কাছে, এটাই হচ্ছে মূল চিন্তার বিষয়। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিষয়ক আইনজীবী প্যাট ওয়ালশে, ফেসঅ্যাপের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার এমন শর্তের দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু কিছু সময়ে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। অ্যাপটিতে রয়েছে গুগল অ্যাডমব, যা ব্যবহারকারীদের গুগলের বিজ্ঞাপন দেখায়। মিস্টার ওয়ালশ বিবিসি নিউজকে জানান, এমনভাবে কাজটি করা হয়েছে, যে পদ্ধতিটি আসলে সুস্পষ্ট নয়। তিনি আরো বলেন, আর এর কারণে মানুষ তাদের প্রকৃত অভিমত ও নিয়ন্ত্রণ পেতে ব্যর্থ হয়। মিস্টার গনশারভ বলেন, ফেসঅ্যাপের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নীতির শর্তগুলো বিশেষায়িত। তিনি বলেন যে, বিজ্ঞাপন আদায়ের জন্য কোন ধরণের তথ্য বিনিময় করে না প্রতিষ্ঠানটি। এর পরিবর্তে, অ্যাপটি বিশেষ সেবা বা বৈশিষ্ট্যর জন্য সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে অর্থ আয় করে। ড. মার্ডক বলেন, "ফেসঅ্যাপের শর্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহারকারীর ছবি ব্যবহারে পূর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে যা চিন্তার বিষয় হলেও অনেকটা স্বাভাবিকই বটে।" "প্রতিষ্ঠানটি জানে যে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি আসলে তেমন কেউই পড়ে না। আর তাই যত বেশি পরিমাণে সম্ভব এসব শর্তাবলী জুড়ে দেয় তারা। এটা ভেবে যে, কখনও হয়তো কোনটি কাজে লাগবে, এমনকি এর অনেক কিছুই তাদের বর্তমান পরিকল্পনাতেও থাকে না।" এ বিষয়ে ফেসঅ্যাপ কি বলছে? মিস্টার গনশারভ কোম্পানীটির দেয়া একটি বিবৃতি শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, ফেসঅ্যাপ এডিটিংয়ের জন্য শুধু ব্যবহারকারীর সরবরাহ করা ছবিই ব্যবহার করে। "আমরা আর কোন ছবি স্থানান্তর করি না," বিবৃতিতে বলা হয়। "আমরা হয়তো আপলোড করা ছবি ক্লাউডে সংরক্ষণ করি যার প্রধান কারণ হচ্ছে কর্মক্ষমতা এবং ট্রাফিক। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, ব্যবহারকারীকে যাতে প্রতিবার এডিটের সময় আলাদা আলাদা করে ছবি আপলোড করতে না হয়।" "বেশিরভাগ ছবিই আপলোডের ৪৮ ঘণ্টা পর সার্ভার থেকে ডিলিট করে দেয়া হয়।" বিবৃতিতে বলা হয়, ফেসঅ্যাপ যেহেতু ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ বাস্তবায়ন করে তাই প্রতিষ্ঠানটির সাপোর্ট টিম খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে। ফেসঅ্যাপ বলছে, তারা ব্যবহারকারীদের এ ধরণের অনুরোধ সেটিংস, সাপোর্ট, "রিপোর্ট এ বাগ" এবং "প্রাইভেসি" সাবজেক্ট লাইনে রেখে তারপর করার অনুরোধ জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়ায় পাঠানো হয়নি। যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের দপ্তর বিবিসি নিউজকে জানায়, ফেসঅ্যাপ বিষয়ক উদ্বেগ নিয়ে গজিয়ে ওঠা নানা গল্প শুনেছেন তারা। বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখছেন। "আমরা মানুষদের বলবো যে কোন অ্যাপে সাইন আপ করার সময় তাদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কোন ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেবেন না," আইসিও এর এক মুখপাত্র বলেন। | Everyone is talking about FaceApp - the app that can edit photos of people's faces to show younger or older versions of themselves. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | লকডাউনে ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য বিষয়ে নজরদারি করে এমন নানা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ এখন খতিয়ে দেখছে। পরামর্শ কী? মহামারির কারণে যেহেতু বহু মানুষকে ঘরের ভেতর থাকতে হচ্ছে, তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেকের শরীরেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আমাদের ত্বক সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করে। কাজেই স্বাভাবিকভাবে ভিটামিন ডি তৈরির জন্য আমাদের বাইরে সময় কাটানোর প্রয়োজন। ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষ করে যারা বাইরে বেরোতে পারছে না , তারা প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম করে ভিটামিন ডি খাওয়ার কথা ভাবতে পারেন। মহামারি শুরু হবার আগেই যুক্তরাজ্যের মানুষকে শীতের মরশুমে আলাদাভাবে ভিটামিন ডি খাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। বিশেষ করে যারা বেশি সময় কাটান ঘরে, এবং যারা ত্বকের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে রাখেন অর্থাৎ যাদের পোশাকের কারণে ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে কম। যাদের চামড়ার রং বাদামি বা কালো তারা এমনিতেই সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি আহরণ করতে পারেন কম। ভিটামিন ডি কেন প্রয়োজন? সুস্থ হাড়, দাঁত এবং পেশির জন্য ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন সেকথা আমরা অনেকেই জানি। আমরা জানি ভিটামিন ডি-র অভাবে হাড় ঠিকমত গড়ে ওঠে না এবং শিশুরা রিকেট নামে রোগের শিকার হতে পারে এবং প্রাপ্তবয়স্করা অস্টিওম্যালাসিয়া নামে দুর্বল হাড়ের রোগে ভুগতে পারেন। কিন্তু এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। কোন কোন গবেষণা বলছে শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রার ভিটামিন ডি থাকলে তা সাধারণ সর্দিজ্বর এবং ফ্লু-তেও সাহায্য করে। তবে তারা একথাও বলছেন এই গবেষণার তথ্যপ্রমাণ সবক্ষেত্রে একরকম নয়। কিছু রকমফেরও আছে। ব্রিটেনের পুষ্টি বিষয়ক বিজ্ঞান গবেষণা উপদেষ্টা কমিটি এখন একটি গবেষণা চালাচ্ছে যাতে দেখা হচ্ছে সংক্রমণজনিত বক্ষব্যাধিতে ভিটামিন ডি ঠিক কীভাবে কাজ করে। ভিটামিন ডি কি করোনাভাইরাসে কাজ করে? বিজ্ঞানীরা বলছেন ভিটামিন ডি, কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর সে বিষয়ে এখনও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ না পাওয়া গেলেও, এই মহামারির সময়ে ভিটামিন ডি সেবনের স্বাস্থ্যগত কিছু সুফল হয়ত পাওয়া সম্ভব। ভিটামিন ডি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, তবে যতটুকু পরিমাণ এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে তার বেশি এই ভিটামিন খাওয়া ঠিক নয় পুষ্টি, প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য ব্রিটেনের একটি গবেষণা রিপোর্ট বলছে, "ভিটামিন ডি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- সেভাবেই এই উপাদানকে দেখা উচিত। কোভিড-নাইনটিন মোকাবেলার একটা 'ম্যাজিক অস্ত্র হিসাবে এটাকে দেখা ঠিক হবে না, কারণ এখনও গবেষণা থেকে নিশ্চিত তথ্যপ্রমাণের অভাব রয়েছে। মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করলে যে কোন রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সে ভাল অবস্থানে থাকে। সেদিকেই মানুষকে জোর দিতে হবে।" কোন কোন গবেষক অবশ্য বলছেন কেউ যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়, এবং তার শরীরে যদি ভিটামিন ডি-র অভাব থাকে, তাহলে এই ভাইরাস তার বেশি ক্ষতি করতে পারে। তবে এই সংক্রমণ যাদের ক্ষেত্রে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদের অন্য শারীরিক ঝুঁকিও থাকে, যেমন হার্টের সমস্যা বা ডায়েবেটিস। ফলে নিশ্চিতভাবে একটা উপসংহারে পৌঁছন কঠিন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক জন রোডস্-এর মতে, ভিটামিন ডি-র প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা আছে। তিনি বলছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কেউ গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে, যখন তাদের ফুসফুস গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে এতটাই সক্রিয় হয়ে ওঠে যে তার ফলে "সাইটোকিন স্টর্ম" নামে প্রদাহ দেখা দেয়। এই প্রদাহ শরীরের ভাল কোষগুলোকে তখন ধ্বংস করতে শুরু করে। ভিটামিন ডি-র যেহেতু প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা আছে, তাই এক্ষেত্রে ভিটামিন ডি ওই মারাত্মক প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে তিনি বলেছেন এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। কতটা ভিটামিন ডি খাওয়া উচিত? ওষুধ হিসাবে ভিটামিন ডি নিরাপদ। কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন তাই বলে অনেক পরিমাণে এটা খাওয়া ঠিক না। চিকিৎসক যতটুকু খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন তার থেকে বেশি মাত্রায় ভিটামিন ডি খেলে দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। বৃত্ত ছোট হয়ে আসছে, শঙ্কা কাটাতে অনেকে যা করছেন করোনাভাইরাস: সুস্থ হয়ে উঠতে কতদিন লাগে? করোনাভাইরাস: স্বাদ-গন্ধ কমলেই রেড অ্যালার্ট করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়া কতদূর? করোনাভাইরাস চিকিৎসায় কীভাবে কাজ করবে প্লাজমা থেরাপি? যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন কতটা ভিটামিন ডি খাওয়া উচিত? ওষুধ হিসাবে ভিটামিন ডি নিরাপদ। কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন তাই বলে অনেক পরিমাণে এটা খাওয়া ঠিক না। চিকিৎসক যতটুকু খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন তার থেকে বেশি মাত্রায় ভিটামিন ডি খেলে দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কারো শরীরে যদি ভিটামিন ডি-র ভালমত অভাব থাকে, সেক্ষেত্রে কতটা পরিমাণ ভিটামিন ডি খাওয়া দরকার সে বিষয়ে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ বিশেষ করে কিডনির সমস্যা কারো থাকলে বা অন্য কিছু কিছু রোগ থাকলে তাদের জন্য বাড়তি ভিটামিন ডি খাওয়া নিরাপদ হবে না। কোনধরনের ভিটামিন ডি? ওষুধ হিসাবে যে ভিটামিন ডি খাওয়া হয় সেটাকে বলে -ডি থ্রি। উদ্ভিদ যে ভিটামিন ডি তৈরি করে সেটা হল ডি-টু। আর সূর্যের আলো থেকে মানুষের ত্বক যে ভিটামিন তৈরি করে সেটা ডি-থ্রি। তাই স্বাস্থ্যগত কারণে মানুষের শরীরে যে ভিটামিন ডি থাকা দরকার সেটা হল ডি-থ্রি। Some cereals are fortified with vitamin D খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে ঠিকমত কাজ করে তার জন্য সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তারপরেও শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমত কার্যকর রাখতে কিছু কিছু বাড়তি উপাদান ওষুধ হিসাবে খাবার প্রয়োজন হতে পারে। শুধু খাবার থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া কঠিন। সাধারণ সময়েও স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য সুষম খাবার খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখন এই মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সেটা আরও জরুরি। যেসব খাবার থেকে স্বাভাবিক ভাবে ভাল পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেগুলো হল: | There are mounting questions about whether vitamin D can help fight coronavirus. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মোবাইল অ্যাপটি মসজিদের ইমানদের ধর্মীয় বয়ান পর্যবেক্ষণ করবে এবং বয়ান বেশি লম্বা হয়ে গেলে সেটি ব্যবহার করে তাদের সতর্ক করা যাবে। সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লতিফ আল-শাইখ আল-ওয়াতান পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এই অ্যাপটি মসজিদে ইমামদের বয়ানের 'সময়' এবং 'মান' পর্যবেক্ষণ করবে। তবে কে বা কারা এসব পর্যবেক্ষণ তদারকি করবেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, নিয়মিত নামাজীরা এই অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের ইমামদের কার্যক্রম সম্পর্কে নম্বর দিতে পারবেন। ধর্মীয় বয়ান ও শিক্ষার বিষয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে সৌদি আরব। 'বিদেশী, দলগত বা ব্রাদারহুড' চিন্তাভাবনা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনতে সর্বত্র একই ধরণের বয়ান চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে, যা নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক চলছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিমান্ডে, আতঙ্ক অনেকের মধ্যে আরেকটি অ্যাপ চালু করেছে সৌদি সরকার, যা ব্যবহার করে নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে খেলাধুলা পর্যন্ত নানা সরকারি সেবার বিষয়ে তাদের মতামত দিতে পারবেন। এর আগে আরেকটি অ্যাপ চালু করেছে সৌদি সরকার, যা ব্যবহার করে নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে খেলাধুলা পর্যন্ত নানা সরকারি সেবার বিষয়ে তাদের মতামত দিতে পারবেন। ধারণা করা হয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বর্তমানের এসব সংস্কারের পেছনে রয়েছেন, যিনি সৌদি আরবকে একটি আধুনিক ইসলামিক এবং উদার সমাজের দেশে পরিণত করতে চান। যদিও এ সপ্তাহেই দেশটিতে মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির দাবিতে কানাডা একটি বিবৃতি দেয়ার পর সেদেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করেছে সৌদি আরব। | Authorities in Saudi Arabia are developing a phone app which will monitor sermons and prayers in mosques to allow worshippers to know if the preacher is likely to go on too long. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | পাকিস্তানে ২০১৪ সালের আত্মঘাতী হামলার শিকার ব্যক্তিদের দেখানো হয়েছে পাকিস্তানী জঙ্গি হিসেবে। হোয়াটসঅ্যাপের মালিক ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এসব বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা বলা যতটা সহজ, করা ততটা সহজ হবে না। এবছর মার্চ মাসের শুরুর দিকে ভারতে দেশপ্রেমের বন্যা বয়ে যায়। পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে ভারতের বিমান হামলা চালানোর দাবী করে ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে নানা ধরনের ছবি শেয়ার করা হয়। ভারতে সরকার দাবি করে যে ২৬শে ফেব্রুয়ারির ঐ হামলায় 'বিপুল সংখ্যক জঙ্গি' নিহত হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকার বলে যে এরকম কোন প্রাণহানির কোন ঘটনা ঘটে নি। বিবিসির সত্যানুসন্ধানী দল এই নিয়ে তদন্ত করে জানতে পারে যে বিধ্বস্ত জঙ্গি আস্তানা কিংবা নিহত জঙ্গিদের যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে সেগুলো সবই পুরনো ছবি। ভুয়া শিরোনাম দিয়ে এগুলো চালিয়ে দেয়া হয়েছে। কাশ্মীরে ভূমিকম্পের দৃশ্যকে ভারতীয় বিমান হামলার দৃশ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনটি মরদেহ ঘিরে একদল মুসলমান নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দাবি করা হয়েছে, এটা ভারতীয় হামলায় নিহত জঙ্গিদের ছবি। আসলে এই ছবি ২০১৪ সালে পাকিস্তানের আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতদের ছবি। এটি ছাড়াও বহু ছবি শেয়ার করা হয়েছে যেখানে বিধ্বস্ত বাড়িঘর, ধ্বংসস্তূপ আর নিহত মানুষের ছবি দেখিয়ে বলা হয়েছে এসবই ভারতীয় হামলার ফল। কিন্তু ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ছবি ২০০৫ সালের পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ভূমিকম্পে ধ্বংসযজ্ঞের ওপর। বিশ্বের নানা দেশে নির্বাচনকে ঘিরে যেসব ভুয়া খবর, মিথ্যে মেসেজ, বানোয়াট ছবি আর ভিডিও প্রচার হয় হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক সেগুলো ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। সেই বিবেচনায় ভারতের আসন্ন নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে একটা বড় পরীক্ষা হিসেবে। গত নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ভোটের আগে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ফেসবুক শত শত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ নতুন একটি পরিষেবা চালু করেছে যার মধ্য দিয়ে তথ্য যাচাই করা সম্ভব। একই সাথে এই প্ল্যাটফর্মে মিথ্যে তথ্য কিভাবে ছড়ানো হচ্ছে তারা সেটিও খতিয়ে দেখবে। সমস্যা কতখানি প্রকট? ভুয়া তথ্য ছাড়ানোর বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হোয়াটসঅ্যাপের পথনাট্য। আরো পড়তে পারেন: 'গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না'- লেখা টি-শার্টের পেছনের গল্প ভারতে মুসলিম লীগের পতাকা নিয়ে বিতর্ক কেন? প্রথমে হাতির পায়ের নিচে, পরে সিংহের পেটে ফেসবুকের জন্য ভারত একটা বিশেষ সমস্যা। এটা হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার - প্রায় ২০ কোটি ভারতীয় এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতীয় অনেক বেশি কন্টেন্ট শেয়ার করেন। গত বছর বিবিসির এক গবেষণায় দেখা গেছ, ভারতে 'ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর ছড়ানোর পেছনে একটা প্রধান কারণ হচ্ছে জাতীয়তাবাদী ধারার পুনরুত্থান। এই জরিপে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা জানান, বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে পাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের ওপর তারা বিশ্বাস রাখেন। এবং কোন বাছবিচার না করেই সেগুলো তারা অন্যদের সাথে শেয়ার করেন। প্রশান্ত কে. রায় একজন প্রযুক্তি বিষয়ক লেখক। তিনি দিল্লিতে যে স্কুলে পড়াশুনা করেছেন সেই স্কুলের একশোরও বেশি বন্ধুদের সাথে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে যুক্ত। হিন্দু-প্রধান হলেও এই গ্রুপে মুসলমান এবং খ্রিস্টান সদস্যও রয়েছেন। "গত কয়েক বছর ধরে একটা মেরুকরণ লক্ষ্য করছি," বলছিলেন তিনি, "গ্রুপের কিছু সদস্য অযথাই ফেক নিউজ ছড়িয়ে যাচ্ছিল। আমরা সত্যতা যাচাই করে তাদের এধরনের পোস্ট শেয়ার করতে বারণ করি। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। পরে তাদের গ্রুপ সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে একটা উত্তেজনা এখনও আছে।" বহু ভারতীয় প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটের স্বাদ গ্রহণ করেন তাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে। রয়টার্স ইন্সটিটিউট ভারতে ইংরেজি ভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওপর সম্প্রতি একটি জরিপ চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫২% জানিয়েছেন দিনের খবর তারা পান হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। একই সংখ্যক উত্তরদাতা জানান তারা ফেসবুক থেকেও খবর পেয়ে থাকেন। গুজব ঠেকাতে হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে মেসেজ আদানপ্রদান সীমিত করে। কিন্তু ভারতে হোয়াটসঅ্যাপে যে ধরনের কন্টেন্ট শেয়ার করা হচ্ছে তার জেরে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে। বিবিসির তৈরি এক বিশ্লেষণে জানা যাচ্ছে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্য সোশাল মিডিয়ায় ছাড়ানো গুজবের ফলে উত্তেজিত জনতার হাতে অন্তত ৩১ ব্যক্তি খুন হয়েছে। নির্বাচনের আগে ঠিক কী ঘটছে? ভারতের ৯০ কোটি ভোটারদের মন জয় করতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন শাসক দল বিজেপি এবং বিরোধীদল কংগ্রেস পার্টি উভয়েই হোয়াটসঅ্যাপের শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা খবর দিচ্ছে, প্রচারাভিযান শুরু হওয়ার আগে বিজেপি ৯,০০,০০০ লোক নিয়োগ করেছে, যাদের দায়িত্ব হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে প্রচারপত্রগুলিকে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে দেয়া। অন্যদিকে, নেহেরু পরিবারের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস পার্টির নির্বাচনী ফোকাস হচ্ছে ফেসবুক। তারা প্রচারের কন্টেন্ট আপলোড করছে ফেসবুকে আর সেগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। কিন্তু এই দুটি দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে যে নির্বাচনকে ঘিরে তারা মিথ্যে এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। পয়লা এপ্রিল ফেসবুক কংগ্রেস পার্টির সাথে সম্পর্কিত ৬৮৭টি ফেসবুক পেজ এবং অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ: এসব অ্যাকাউন্ট থেকে একযোগে ভুয়া তৎপরতা চালানো হচ্ছিল। ভারতের পত্রিকায় ফেক নিউজের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন। অন্যদিকে, খবর পাওয়া যাচ্ছে বিজেপি-পন্থী ২০০টি ফেসবুক পেজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একই অভিযোগে। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই খবর স্বীকার করেনি। শিভাম শঙ্কর সিং একজন একজন ডেটা অ্যানালিস্ট। তিনি ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলিতে বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। তিনি জানান, বিজেপি ২০১৬ সাল থেকেই ব্যাপক সংখ্যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গড়ে তুলতে থাকে। ভোটার লিস্টের সাথে ভোটারের মোবাইল নাম্বার যুক্ত করে ধর্ম ও বর্ণ-ব্যবস্থার ভিত্তিতে তারা ছোট ছোট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গড়ে তোলে। মি. সিং এখন বিহারে বিজেপির বিরোধী দলগুলোর সাথে কাজ করছেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশেই ২০,০০০ বিজেপি-পন্থী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গড়ে তোলার প্রশ্নে কোন নীতিমালা থাকার কথা অস্বীকার করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র গোপাল কৃষ্ণ আগারওয়াল। তিনি বলেন, শুধুমাত্র দলের কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এসব গ্রুপকে ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে কর্মী-সমর্থকরা এধরনের গ্রুপ তৈরি করতে পারেন, মি. আগারওয়াল জানান, তবে এর সঙ্গে দলের আনুষ্ঠানিক কোন সম্পর্ক নেই। হোয়াটসঅ্যাপের জন্য সমস্যা কোথায়? ভারতে তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেমন অল্টনিউজ কিংবা বুম। ফেসবুক ও টুইটারে যেসব ফেক নিউজ ছাড়ানো হয়, তারা সেগুলোকে মিথ্যে প্রতিপন্ন করে। যেমন, এক খবরে বলা হয়েছে ভারতের নির্বাচনে একজন ব্রিটিশ বিশ্লেষক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে 'নির্বোধ' বলেছেন। কিংবা ভারতীয় বিমান বাহিনীর একজন পাইলট, যাকে জাতীয় বীর হিসেবে মর্যাদা দেয়া হচ্ছে, তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এধরনের পোস্ট দলের অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা না হলেও, সমর্থকরা দলের বাইরে এধরনের গ্রুপ ব্যবহার করে ব্যাপকহারে এগুলো ছড়িয়ে দেন। তাদের কাছ থেকে নিয়ে রাজনৈতিক নেতারাও মাঝেমধ্যে এধরনের পোস্ট শেয়ার করেন। "ফেসবুক এবং টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো খুব রাখঢাক করে কাজ করে না। ফলে আমাদের মতো ফ্যাক্ট-চেকারের জন্য এগুলো যাচাই করা খুব কঠিন হয় না," বলছিলেন ভারতীয় ফ্যাক্ট-চেকিং সাইট বুম-এর কর্মকর্তা জেন্সি জেকব। প্রশান্ত কে. রায় বলছিলেন, ফেসবুক এবং টুইটারের সাথে হোয়াটসঅ্যাপের পার্থক্য হলো হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজগুলো এনক্রিপটেড থাক। ফলে "এটা অনেকটা কৃষ্ণ গহ্বরের মতো," বলছেন তিনি। "এসব টেক্সট মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপ নিজেও দেখতে পায় না, খুলে পড়তে পারে না এবং এগুলোতে কোন কাটছাঁট করতে পারেনা।" হোয়াটসঅ্যাপের এই নীতিতে যে পরিবর্তন ঘটবে এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। হোয়াটসঅ্যাপ গভীরভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় বিশ্বাস করে। কী পদক্ষেপ নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ? গত বছরে ভারতে গণপিটুনিতে পর পর ক'টি মৃত্যুর ঘটনার পর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মেসেজের সংখ্যা সীমিত করে দেয়। প্রতি ইউজার দিনে শুধুমাত্র পাঁচটি মেসেজ ফরোয়ার্ড করতে পারবেন। একই সাথে হোয়াটসঅ্যাপ সারা দেশ জুড়ে ১০টি ভারতীয় ভাষায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে, যা কোটি কোটি মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছায়। এতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, মানুষের কাছে অযথা মেসেজ পাঠায় সারা বিশ্বে এমন ২০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট তারা প্রতি মাসে বাতিল করে থেকে। হোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নতুন সেটিং-এ এখন ইউজাররা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তারা কাকে গ্রুপের সদস্যপদ দেবেন বা কাকে বাইরে রাখবেন। গত ২রা এপ্রিল হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে একটি নতুন পরিষেবা চালু করে যার নাম 'চেক পয়েন্ট"। এর মাধ্যমে ইউজাররা ইংরেজিও ছাড়া চারটি ভারতীয় ভাষায় সন্দেহজনক মেসেজ যাচাই করতে পারবেন। মেসেজটি যদি সত্যি, মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর কিংবা বিতর্কিত হয় হোয়াটসঅ্যাপ তাহলে সেটা বলে দেবে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের পদক্ষেপে কী ফল হচ্ছে? যদিও হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তারা মেসেজ ফরোয়ার্ড করার হার ২৫% কমাতে পেরেছে, কিন্তু যারা সত্যাসত্য যাচাই করেন তারা বলছেন ফেক নিউজ একটুও কমেনি। তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন এই কারণে যে যেসব খবর বা গুজব কিংবা ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব তারা আগে মিথ্যে বলে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো বারে বারে করে ফিরে আসছে। এর মধ্যে একটি হলো নেহেরু পরিবারের মুসলিম শেকড়, যা আগেই ভুয়া বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। তারা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপ তার এনক্রিপশন এবং গোপনীয়তার নীতিমালায় পরিবর্তন না আনবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটা ঠেকানো অসম্ভব। তারা বলছেন, ফেসবুকের মতো ব্যবস্থা চালু করতে হবে যেখানে ভুয়া তথ্য ফরোয়ার্ড করার সময় জানিয়ে দেয়া হয় যে এটি ভুয়া। সমালোচকরা বলছেন, যে বিপুল সংখ্যক গ্রুপ ইতোমধ্যেই কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপের এসব নতুন পদক্ষেপ তাদের ওপর কোন প্রভাবই ফেলবে না। সেদিক থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশি সুবিধেজনক অবস্থায় থাকবেন বলে বলছেন, ডেটা অ্যানালিস্ট শিভাম শঙ্কর সিং। "বিজেপি হচ্ছে একমাত্র দল যার এত বিপুল সংখ্যক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে," তিনি বলেন, "আর অন্য দলগুলো এখন চাইলেও তা পারবে না। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ তার নীতিমালায় পরিবর্তন ঘটিয়েছে।" | WhatsApp, India's most popular messaging platform, has become a vehicle for misinformation and propaganda ahead of the upcoming election. The Facebook-owned app has announced new measures to fight this but experts say the scale of the problem is overwhelming. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | এইচপিভি ভাইরাস যুক্তরাজ্যে এইচপিভি বা 'হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের' প্রকোপ এতটাই ছিল যে, এটিকে ঠেকাতে ২০০৮ সালে টিকা বা ভ্যাকসিন চালু করেছিল দেশটির সরকার। এইচপিভি'র প্রধান লক্ষণ হলো দেহে একরকম আঁচিল, গুটি বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়া - যা যৌনাঙ্গ থেকে শুরু করে মুখে, হাতে-পায়ে এমনকি মুখের ভেতরেও হতে পারে। তবে এরকম গুটি থাকলেই যে কারো এইচপিভি হয়েছে বলে মনে করতে হবে তা-ও নয়। এ ভাইরাস খুবই ছোঁয়াচে। সাধারণত নারী পুরুষ যখন প্রথম যৌন-সক্রিয় হয়ে ওঠে তখনই এ সংক্রমণের শিকার হয়। এখনো এই রোগ নিয়ে বিশেষ করে নারীদের মধ্যে প্রচুর ভুল ধারণা রয়েছে। গবেষণার জন্য জরিপে অংশ নেয়া এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত নারীদের অর্ধেকেই মনে করেন যে, তাদের স্বামী বা প্রেমিক তাদের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। বহু ভুল ধারণা চালু আছে এইচপিভি নিয়ে এইচপিভি ভাইরাস নিয়ে আরো যেসব ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, তার একটি হলো - অনেকেই মনে করে একমাত্র সেক্স বা যৌনতার মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়ায়। বাস্তবে এইচপিভি সাধারণত যৌনতা-বাহিত, কিন্তু প্রকৃত অর্থে যৌন-সঙ্গম না ঘটলেও - শুধু 'জেনিটাল' বা যৌনাঙ্গ ও 'ওরাল' বা মৌখিক যে কোনো সংস্পর্শের মাধ্যমেই - এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। প্রথম যৌন-সক্রিয় হয়ে ওঠার সময় থেকেই এইচপিভি সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা যায় দ্বিতীয় ভুল ধারণাটি হলো: কারো এইচপিভি হলে ধরে নিতে হবে যে সে বহু নারী বা পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক করেছে। কিন্তু আসলে তা নয়। ব্রিটেনের লোকদের ৮০ শতাংশই জীবনের কোন না কোন পর্বে এইচপিভি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা আছে। এমনকি জীবনের প্রথম যৌন সংসর্গেও এ সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে। তৃতীয় ভুল ধারণা: কারো এইচপিভি হবার মানেই হলো তার ক্যান্সার হয়েছে। আসল ব্যাপার হলো: এইচপিভি আছে প্রায় ২০০ রকমের। এর মধ্যে ৪০ রকম এইচপিভি আপনার যৌনাঙ্গ বা তার আশপাশে হবে এবং সেখানেই এ ভাইরাস বাসা গাড়বে। তবে ১৩ শতাংশ এইচপিভি ভাইরাস এমন ধরণের যা জরায়ু , গলা বা মুখের ক্যান্সার তৈরি করতে পারে - তবে তা খুবই বিরল। চতুর্থ ভুল ধারণা: এইচপিভি হলে আপনি টের পাবেন। কিন্তু বাস্তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইচপিভি র কোন লক্ষণ দেখা যায় না। অনেক সময় শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাই এ ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেয়। তবে জরায়ুমুখের স্ক্রিনিং থেকে এটা ধরা যেতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ‘ওরাল সেক্স’ এর কারণে ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া ছড়াচ্ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অত্যধিক যৌন আসক্তি কি আসলেই 'নেশা'? 'দিনে পাঁচবার যৌনমিলনও যথেষ্ট ছিল না' যৌন আনন্দের জন্য গাঁজা ব্যবহার করেন যে লোকেরা এইচপিভি টিকা জো'স সার্ভিকেল ক্যান্সার ট্রাস্টের উদ্যোগে গত মাসে চালানো এক জরিপে দুই হাজার নারী অংশ নিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি নিয়ম করেছে, সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসেবে এখন থেকে সবাইকেই এইচপিভি পরীক্ষাও করতে হবে। কিন্তু এইচপিভি নিয়ে যারা প্রচার কার্যক্রম চালায় তারা নিজেরাই আশঙ্কা করছে যে, লোকলজ্জার ভয়ে হয়তো অনেক নারী এই পরীক্ষাটাই করাতে চাইবে না। গবেষণায় অংশ নেয়া নারীদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ নারীর এইচপিভি সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। আর বাকি প্রায় ৬০ ভাগ নারী জানিয়েছেন, এইচপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হবার খবর পেয়ে তারা ভেবেছিল যে তাদের বুঝি ক্যান্সার হয়েছে। লরা ফ্লাহার্টিও জরিপে অংশ নেয়া একজন নারী - ২০১৬ সালে যার সার্ভিক্যাল ক্যান্সার ধরা পড়েছিল - বলছিলেন যে, এই ভাইরাস সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই ছিল না। এইচপিভি ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচুর ভুল ধারণা প্রচলিত আছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মর্মে ডাক্তারি রিপোর্ট পাবার পর গুগল সার্চ করে পরে এই রোগ নিয়ে তিনি বিস্তারিত জেনেছেন। সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের রুটিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ হিসেবে এইচপিভি পরীক্ষা করার যে নিয়ম চালু করেছে যুক্তরাজ্য সরকার - আগামী সপ্তাহ থেকেই তা ওয়েলসে কার্যকর হবে। স্কটল্যান্ডে এই নিয়ম চালু হবে ২০২০ সালের মধ্যে । এইচপিভি সংক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাজ্য সরকার ২০০৮ সালে চালু করেছিল এইচপিভি ভ্যাকসিন। এই টিকা চালু করার পর এখন দেখা যাচ্ছে যে, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছে। গত বছর থেকে সমকামী পুরুষ যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ তাদেরকেও এইচপিভি টিকার আওতায় আনা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শিল্পে ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা দিনে দর্জি, রাতে ডাকাত: ধরা পড়লো ৩৩ খুনের আসামী হারিকেন ফ্লোরেন্স: বহু লোক সরে গেলেও বন্দীরা জেলে | High levels of shame and ignorance are associated with HPV, the sexually-transmitted virus which affects 80% of people, a survey has discovered. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ভারতের বান্ধবগড় অভয়ারণ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বলা হচ্ছে, বাঘের সংখ্যা বেড়েছে সুন্দরবনেও - যে অরণ্য ছড়িয়ে আছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দুপাশেই। আজ বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে বাঘেদের জন্য 'বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাসভূমি' বলেও বর্ণনা করেছেন। তবে সম্প্রতি যেভাবে ভারতের নানা প্রান্তে বনভূমি সঙ্কুচিত হচ্ছে এবং মানুষ ও বাঘের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটছে, তাতে বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞরা অনেকেই এই বাঘশুমারির পরিসংখ্যান নিয়ে সন্দিহান। বলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমার নাম ধার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন 'এক থা টাইগার' থেকে শুরু করে ভারত এখন 'টাইগার জিন্দা হ্যায়' পর্বে পৌঁছে গেছে। আরো পড়তে পারেন: সুন্দরবনে আটটি বাঘ বেড়ে যাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ বন্যা থেকে বাঁচতে বাড়িতে ঢুকে বিছানায় ঘুম বাঘিনীর বাঘ-সিংহ বা জিরাফ কি একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে? ভারতের বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং এই সাফল্যের কাহিনী এখানেই থামছে না। এই টাইগার সেন্সাসের ফলাফল প্রত্যেক ভারতীয় ও পরিবেশপ্রেমীকে গর্বিত করবে বলে জানিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, "২০১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ সম্মেলনে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করা হবে বলে যে টার্গেট ধরা হয়েছিল, ভারত সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছে চার বছর আগেই।" কিন্তু মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতে বাঘের সংখ্যা কীভাবে এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে ২৯৬৭তে পৌঁছে গেল? বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ভারতের বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিবিসিকে বলছিলেন, "খুব যত্নের সঙ্গে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করা হয়েছে।" "পোচিং বা চোরাশিকারও আগের চেয়ে অনেক কমানো গেছে।" আরো পড়তে পারেন: ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কি কমিয়ে দেখানো হচ্ছে? মিল্ক ভিটার দুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত পেঁপে পাতার রস, নারিকেল তেল ডেঙ্গু নিরাময়ে উপকারী? শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী উপায় মানুষখেকো বাঘ অভনি-র দেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নাগপুর, নভেম্বর ২০১৮ "তা ছাড়া আমাদের বনবিভাগের কর্মকর্তাদের আবেগও বিষয়টার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।" "সারা বিশ্বে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের তিন-চতুর্থাংশ ভারতেই, কাজেই এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা আমাদেরই নিতে হবে - এটা তারা উপলব্ধি করেছেন।" ভারতের সুপরিচিত বাঘ গবেষক গৌরী মাওলেখি কিন্তু মনে করেন, এই সেন্সাস ডেটা বা বাঘশুমারির পরিসংখ্যান ফুলপ্রুফ নয় এবং এতে নানা ত্রুটির অবকাশ আছে। বিবিসিকে নানা দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলছিলেন, "গত কয়েক বছরের মধ্যে যেখানে ভারতে বহু টাইগার করিডর নষ্ট হয়েছে, মানুষখেকো বাঘ অভনি-র মতো বাঘ শাবকসহ মারা পড়েছে কিংবা ছত্তিশগড় ও ঝাড়খন্ডে বাঘের বিস্তীর্ণ আবাসভূমি ধ্বংস হয়েছে - সেখানে এই তথ্য অবশ্যই সন্দেহ উদ্রেক করে।" "করবেটে তো গুজ্জররা কোর ফরেস্টকেই হাজার হাজার মহিষের চারণভূমি বানিয়ে ফেলেছে।" গৌরী মাওলেখি "তাদের জীবিকার সঙ্গে সামান্যতম 'কনফ্লিক্ট' হলে বাঘ মারতেও দ্বিধা করছে না - সেখানে কোথাও একটা মারাত্মক ভুল হচ্ছে বলেই আমার বিশ্বাস।" ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য সুন্দরবনের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলছিলেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এবারের বাঘ গণনাকে প্রায় নিখুঁত করে তোলা সম্ভব হয়েছে। তার কথায়, "সুন্দরবনে ২০১৪ সালে আমাদের দিকে ৭০-টার মতো বাঘ ছিল, এখন সেটা বেড়ে ৮৬ হয়েছে। আর সীমান্তের দুদিক ধরলে গোটা অঞ্চলটায় ১৮২ কি ১৮৪টার মতো বাঘ আছে বলে আমাদের সার্ভেলেন্সে ধরা পড়েছে।" "বাঘের গণনা দুদিক থেকেই হয়, বাংলাদেশ যেমন করে - তেমনি আমরাও করি। আর এক একটা বাঘ যেহেতু খুব লম্বা পথ পাড়ি দেয় তাই সেখানে স্যাটেলাইট ম্যাপিংয়ের সাহায্যও নেওয়া হয়েছে। "যেখানেই বাঘের গতিবিধি আছে বলে মনে হয়েছে, আমরা সেখানে প্রচুর সংখ্যায় ক্যামেরা লাগিয়েছি।" বলা হচ্ছে বাঘ বেড়েছে সুন্দরবনেও "সেই সব ক্যামেরায় তিন লক্ষেরও বেশি ছবি এসেছে - আর মোট যে হাজার তিনেক বাঘ, তার আশি শতাংশেরই কিন্তু আসল ছবি কিন্তু আমরা ধরতে পেরেছি।" "বাঘের গায়ের ডোরা দাগ পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে একই বাঘকে দুবার গোনা না-হয়। আধুনিক প্রযুক্তিই এটাকে সম্ভব করেছে", বলছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ভারতের বিখ্যাত টাইগার কনজার্ভেশন অ্যাক্টিভিস্ট বেলিন্ডা রাইট-ও বাঘের সংখ্যা বাড়াকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে বাঘ বাঁচাতে সরকারের যথেষ্ঠ রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে কি না তা নিয়ে তিনি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন। মিস রাইট বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "যে দিন সরকার এই টাইগার সেন্সাসের চমকপ্রদ ফল প্রকাশ করছে, সেই একই দিনে কিন্তু তেরোটি রেল প্রকল্পকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে যেগুলোতে বন বিভাগের ছাড়পত্র লাগবে না।" ভারতে বাঘ সংরক্ষণে সুপরিচিত নাম বেলিন্ডা রাইট "আর এই রেললাইনগুলো সব যাবে বাঘের বাসভূমি বা টাইগার করিডর চিরে।" "তা ছাড়া ভারতে বন্যপ্রাণী বিষয়ক সরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গবেষণা বা তথ্য অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে না।" "সেগুলো নিরপক্ষভাবে যাচাই করারও সুযোগ নেই - সেটাও একটা বড় দুশ্চিন্তার বিষয়", বলছিলেন বেলিন্ডা রাইট। সুতরাং এই টাইগার সেন্সাস নিয়ে পরিবেশবিদদের সন্দেহ ও সংশয় কিছুটা থাকছেই। আর প্রধানমন্ত্রী মোদীর বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই জাতীয় পশু যেখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার - বাঘ বাঁচানোর এই লড়াইটা লড়তে হবে দুদেশকে মিলেই। | India is now home to nearly 3,000 tigers, a third more than it had four years ago, according to the latest tiger census. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | গত বছর সৌদি আরবে ১৮৪ জন মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে দেশটিতে দোররা মারা নিষিদ্ধ করার দুইদিন পর বাদশাহ সালমানের জারি করা এক ডিক্রিকে উদ্ধৃত করে এই ঘোষণা এলো । জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক সনদে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া যাবে না, এই সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটি সৌদি আরব। অধিকার কর্মীদের অভিযোগ মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড যেসব দেশের সৌদি আরব তাদের একটি। সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা চরমভাবে হরণ করা হয়েছে, এবং সরকারের সমালোচনা করার জন্য নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে দেশটিতে রেকর্ড ১৮৪ জন মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, এদের মধ্যে অন্তত একজন রয়েছেন যিনি কিশোর অবস্থায় করা অপরাধের জন্য সাজা পেয়েছেন। আরো পড়তে পারেন: দোররা মারার শাস্তি বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে সৌদি আরব মক্কা ও মদিনায় ২৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করোনাভাইরাস হজ নিয়ে দোটানায় সৌদি আরব করোনাভাইরাস: বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ধার্মিকের নজিরবিহীন আপোষ রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের সরকার সমর্থিত মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি আওয়াদ আলাওয়াদ বলেছেন, এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে কিশোর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। তার বদলে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে। মি. আলাওয়াদ বলেছেন, "এই ডিক্রির মাধ্যমে আমরা আরো আধুনিক দণ্ডবিধি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।" দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটি প্রচার করা হয়নি। সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপগুলোর একটি কবে থেকে নতুন আইন চালু হবে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। সৌদি আরবের মানবাধিকার রিপোর্ট এখনো কঠোর রাষ্ট্রীয় বিশ্লেষণের পর প্রকাশিত হয়। যদিও ২০১৮ সালে ইস্তানবুলে সৌদি কনসুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার পর সম্প্রতি পরিস্থিতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এখনো দেশটিতে বহু নাগরিক অধিকার এবং নারী অধিকার কর্মীকে জেল খাটতে হচ্ছে। এ সপ্তাহের শুরুতে সৌদি আরবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার কর্মী কারাগারে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। দেশটির মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ আবদুল্লাহ আল-হামিদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব না দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। | Saudi Arabia will no longer impose the death penalty on people who committed crimes while still minors, the country's Human Rights Commission says. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | প্রাবোও সুবিয়ান্তো (বামে) অভিযোগ করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জয়লাভ করেছেন জোকো ইয়োদেদো এপ্রিলের নির্বাচনে মি. ইয়োদোদো প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হলেও তার প্রতিপক্ষ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনে এবং বিরোধী সমর্থকরা বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন বিক্ষোভকারী মারা যায়। তবে গতমাসে ইন্দেনেশিয়ার সাংবিধানিক আদালত নির্বাচনের ফল বহাল রাখে। শনিবার জাকার্তার নতুন পরিবহণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করার সময় পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ভুলে একত্রিত হন মি. ইয়োদোদো ও মি. সুবিয়ান্তো। প্রেসিডেন্টের পাশে দাড়িয়ে মি. সুবিয়ান্তো বলেন, "কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেছে যে নির্বাচনে জেতায় কেন আমি প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানাইনি? কারণ আমি তাঁকে সামনা-সামনি অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলাম।" গতমাসে ইন্দেনেশিয়ার সাংবিধানিক আদালত নির্বাচনের ফল বহাল রাখে প্রেসিডেন্টকে তাঁর কাজে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে মি. সুবিয়ান্তো বলেন, "প্রেসিডেন্টের কাজ মানুষের সেবা করা এবং এই কাজে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়বেন তিনি। তাঁকে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি আমি।" প্রেসিডেন্ট ইয়োদোদো বলেন, জাকার্তার নতুন গণপরিবহণ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য তাঁর প্রতিপক্ষকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। ২০১৪ সালে যে নির্বাচনে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন মি. ইয়োদোদো, ঐ নির্বাচনের ফলও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। মি ইয়োদোদো বলেন, "এভাবে বিরোধী নেতা প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সাথে দেখা করতে পারায় আমি খুবই আনন্দিত।" "আমি আশা করবো আমাদের সমর্থকারও একত্রিত হয়ে কাজ করার বিষয়টি মাথায় রাখবেন, কারণ আমরা সবাই একই দেশের নাগরিক। বিশ্বে প্রতিযোগিতা বাড়ছে এবং আমাদের দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের একতাবদ্ধ থাকতে হবে।" | Indonesian President Joko Widodo and opposition leader Prabowo Subianto have met for the first time since the bitter presidential election - on a train. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | প্রথমবারের মতো পোপ ফ্রান্সিস স্বীকার করেছেন যে, গির্জার নানরা যাজকদের কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তিনি বলেছেন, তার পূর্বসূরি পোপ বেনেডিক্ট এ কারণে পুরো একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, গির্জার নানরা যে যাজকদের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, সেটা এই প্রথমবারের মতো স্বীকার করলেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি বলেছেন, এই সমস্যাটি মোকাবেলার চেষ্টা করেছে গির্জা, তবে এসব ঘটনা এখনো ঘটছে। গত নভেম্বর মাসে ক্যাথলিক গির্জার নানদের বৈশ্বিক সংগঠন জানায়, 'ভয় ও নীরবতার সংস্কৃতির' কারণে নানরা গির্জার এই যৌন নিপীড়নের ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারেননি। গির্জায় যাজকদের দ্বারা শিশু এবং তরুণদের ওপর যৌন নিপীড়নের লম্বা অভিযোগের মধ্যেই পোপ ফ্রান্সিস এই মন্তব্য করলেন। পোপ কী বলেছেন? মঙ্গলবার মধ্যপ্রাচ্যে একটি ঐতিহাসিক সফরের সময় সাংবাদিকদের পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ''নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ হিসাবে দেখার প্রবণতাটি এখনো গির্জায় একটি সমস্যা হিসাবে রয়ে গেছে।'' তিনি বলেছেন, ''যাজক এবং বিশপরা নানদের নিপীড়ন করেছেন। তবে গির্জা এখন এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে সতর্ক হয়েছে এবং এটি বন্ধে কাজ করছে। বেশ কয়েকজন যাজককে বরখাস্ত করা হয়েছে। '' ''পোপ বেনেডিক্ট সাহস নিয়ে নারীদের একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলেন, কারণ সেখানে যাজক বা প্রতিষ্ঠাতাদের হাতে নারীদের নিপিড়নের বিষয়টি যৌন দাসত্বে রূপ নিয়েছিল। আরো পড়ুন: 'হাজার শিশুকে নির্যাতন' করেছেন জার্মান যাজকরা ধর্মযাজকদের হাতে শিশু নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না কেন? পোপ ফ্রান্সিসকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, নানদের ওপর যৌন নিপিড়নের এখনো গির্জার একটি অব্যাহত সমস্যা, তবে কয়েকটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানেই এগুলো ঘটছে, বিশেষ করে নতুনদের ক্ষেত্রে। ''আমি মনে করি, এটা এখনো ঘটছে, কারণ এটা এমন নয় যে, আপনি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেও তা বন্ধ হয়ে যাবে।'' কোথায় যৌন নিপিড়নের ঘটনা ঘটেছে? পোপ বেনেডিক্ট ২০০৫ সালে ফ্রান্সের কম্যুনিটি অফ সেন্ট জেন নামে নারীদের একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি রোমান ক্যাথলিক পত্রিকার কাছে স্বীকার করে যে, যাজকরা বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন, যা তাদের কৌমার্য রক্ষার ব্রতের সঙ্গে খাপ খায়না। ভারতে আরেকটি ঘটনায় গতবছর একজন বিশপকে গ্রেপ্তার কার হয়, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে একজন নানকে ১৩বার ধর্ষণ করেছেন। যদিও ওই যাজক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত বছর চিলিতে যাজকদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন গির্জার নানরা। এরপর তদন্ত শুরু করে ভ্যাটিকান। ইটালি এবং আফ্রিকার গির্জায় যৌন নিপীড়নের কয়েকটি ঘটনার খবর প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। চার্চের নারীরা কী বলছেন ভ্যাটিকানের নারীদের ম্যাগাজিন, উইমেনস চার্চ ওয়ার্ল্ড বলছে, অনেক ঘটনায় নানরা ধর্মীয় বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও গর্ভপাত করাতে বাধ্য হয়েছেন। নিপীড়নের বিষয়ে পোপের এই স্বীকারোক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ম্যাগাজিনের সম্পাদক লুসেত্তা স্কারাফিয়া বলছেন, এটা হয়তো খানিকটা সাহায্য করবে,কিন্তু গির্জাকে আসলে শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। ''এ ধরণের কেলেঙ্কারির প্রতি যদি বরাবরের মতো গির্জা চোখ বন্ধ করে রাখে, তাহলে নারীদের ওপর নির্যাতনের পরিস্থিতি কখনোই পাল্টাবে না।'' তিনি বলছেন। #মি টু আন্দোলনের কারণে অনেক নারী এখন তাদের নির্যাতনের বিষয়টি সামনে তুলে ধরছেন বলে ম্যাগাজিনটি মনে করে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আর্সেনালের কাছে কেন ক্ষমাপ্রার্থী বলিউড অভিনেত্রী শ্মশানে লাশ তুলে তান্ত্রিক সাধনা, পাঁচ কিশোর গ্রেপ্তার গান্ধীর কুশপুত্তলিকায় গুলি: হিন্দু নেত্রী আটক ১৯ কোটি ডলারের স্থান হয়েছে কবরে? | Pope Francis has admitted that clerics have sexually abused nuns, and in one case they were kept as sex slaves. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | শনিবার দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবান চুক্তি স্বাক্ষর করে কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে আফগানিস্তানে যখন থেকে সংঘাত কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়, যাকে বলে এক ধরণের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, তখন থেকে দেশটিতে এ নিয়ে কিছুটা সতর্ক আশাবাদ দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিক জীবনের আশা কতটা করা যাবে সেটা এখনো কেউ বলতে পারছে না। কিভাবে চুক্তি হলো? এত দীর্ঘ সময় কেন লাগলো? আঠারো বছর ধরে চলছে এই আফগান যুদ্ধ, বছরের পর বছর ধরে তালেবান ক্রমে একটু একটু করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়, বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে স্থানীয় নির্বাচনে। যদিও দেশটির শহর অঞ্চলগুলোতে এখনো নিয়ন্ত্রণ নেই তাদের। শীর্ষ তালেবান রাজনৈতিক নেতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবান নেতৃত্ব উভয় পক্ষই এখন বুঝতে পারছে যে কোন পক্ষই নিরঙ্কুশ সামরিক বিজয় লাভ করতে পারবে না। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে চান। এখানে যুক্তরাষ্ট্র যে ছাড় দিয়েছে, মানে যার জন্য চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হলো, তা হচ্ছে ২০১৮ সালে নেয়া নতুন মার্কিন নীতি। তার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মনে করতো আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানকেই প্রথম আলাপ শুরু করতে হবে। কিন্তু আফগান সরকারকে তালেবান কখনোই বৈধ হিসেবে মেনে নেয়নি। কিন্তু সে অবস্থান থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তালেবানের সঙ্গে বৈঠকে বসে এবং তাদের প্রধান আপত্তি অর্থাৎ আফগানিস্তানে বিদেশী বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। সেই আলোচনার ফলাফলই ক্রমে শনিবারের চুক্তি স্বাক্ষর পর্যন্ত পৌঁছায়। মার্কিন সৈন্য কতদিন আফগানিস্তানে অবস্থান করবে তা এখনো পরিষ্কার নয় বিনিময়ে তালেবান সম্মত হয়েছে, ঠিক যে কারণে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছিল তা দূর করতে অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে সরে আসবে। সংঘাতের অবসান কি হবে? এখন এই চুক্তির পর তালেবানদের সঙ্গে আফগান রাজনীতিক, বিশেষ করে সরকারের আলোচনার পথ উন্মুক্ত হলো। তবে সেই আলোচনা সহজ হবে না। তালেবানদের ইসলামী রাষ্ট্র আর আধুনিক গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান এই দুই ধারণার মধ্যে সমন্বয় সহজ নয়। কিন্তু নারী অধিকার প্রশ্নে এখন তাদের অবস্থান কী হবে? গণতন্ত্রকে কিভাবে দেখে তালেবান? আরো পড়তে পারেন: তালেবানের সঙ্গে চুক্তি: সেনা সরিয়ে নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে কেনো এতো দীর্ঘ যুদ্ধ হচ্ছে? আফগানিস্তানে কিভাবে ঢুকেছিল সোভিয়েত বাহিনী তালেবান-মার্কিন গোপন বৈঠক যে কারণে ভন্ডুল হলো আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে কতটা মূল্য দিতে হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর তখনি পাওয়া যাবে যখন আন্ত-আফগান আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তালেবান এসব প্রশ্নে তালেবানের অবস্থান পরিষ্কার নয়। আর আলোচনা শুরুর আগ পর্যন্ত সম্ভবত এগুলোই বড় বাধা। আলোচনা শুরুর আগে তালেবান তাদের ৫০০০ কারাবন্দীর মুক্তি দাবি করেছে। কিন্তু আফগান সরকার তালেবানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর কাজে এই বন্দিদের কাজে লাগাতে চায়। এরপর দেশটিতে সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আশরাফ ঘানি ও তার প্রতিপক্ষ আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর মধ্যকার বিতর্কও আলোচনায় আছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থাও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে আলোচক দল তৈরিতে একটি বড় বাধা তৈরি করেছে। বিবিসির কাছে একজন আফগান কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, প্রক্রিয়া এখন শুরু হলেও 'আন্ত-আফগান' আলোচনা শেষ হতে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে যদি নতুন চুক্তি অনুযায়ী তালেবান প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো সহযোগীরা আফগানিস্তান থেকে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে সব সৈন্য সরিয়ে নেবে। কিন্তু যদি কোন চুক্তি কার্যকর না হয়, তাহলে মার্কিন সেনারা দেশটিতে থাকবে না ১৪ মাস পর তারা চলে যাবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি 'শর্ত-সাপেক্ষে' হবে বলে আফগান কর্মকর্তারা মনে করেন। একজন কূটনীতিক বলেছেন, সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি আলোচনা শুরুর শর্ত, আলোচনার পরিসমাপ্তির নয়। তিনি আশংকা প্রকাশ করেছেন, বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের পর যদি তালেবান নতুন করে সংঘাতে জড়াতে চায়, তখন সরকারি বাহিনী মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কোন কোন বিশ্লেষক যদিও সতর্ক করেছেন এই বলে যে, এখনো পর্যন্ত তালেবানকে দেখে মনে হচ্ছে না যে তারা কোন ছাড় দেবে, এবং চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিকে তারা নিজেদের বিজয় হিসেবে দেখে। যদিও তালেবান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈধতা চায় সেটা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। দোহায় যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে চুক্তির সময় তাতে সেটি বোঝা গেছে, এবং চুক্তির শর্তগুলোকে তারা নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের সুযোগ মনে করতে পারে। এখন যেকোন সাধারণ আফগানের জন্য প্রধান চাওয়া হচ্ছে, স্বল্প সময়ের জন্য হলেও যেন সংঘাতের অবসান হয়। আসছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যখন বসন্ত শুরু হবে, এবং দেশটির আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে উঠবে, যেটাকে সাধারণত 'সংঘাতের মৌসুম' শুরু হবে, তখন বোঝা যাবে চুক্তির কী ফল দৃশ্যমান হবে। | US, Afghan and Taliban officials have all been careful to avoid calling Saturday's agreement in Doha "a peace deal." But in Afghanistan, a sense of cautious optimism has been rising ever since a week long "reduction in violence" or partial truce leading to the signing came into effect. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা আসে যে সৌদি আরবে হজ আর আল-উমরাহ-করতে যেসব মুসলমান যান, তাঁদের কাছ থেকে দেশটি আসলে কত অর্থ রোজগার করে? সৌদি আরবের অর্থনীতির কত ভাগ এই রোজগার থেকে আসে? এই বিষয় নিয়ে বিবিসির ফার্সি বিভাগের আলী কাদিমি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। অর্থের অঙ্ক বের করতে গেলে প্রথমেই দেখা দরকার -হজ করতে ঠিক কত সংখ্যক মুসলমান সৌদি আরবে যান? গত বছর মোট ৮৩ লক্ষ মানুষ হজ করতে গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ আল-উমরাহতেও গিয়েছিলেন। গত এক দশকে গড়ে ২৫ লক্ষ মুসলমান হজ করেছেন। এর মধ্যে আবার দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, বছরে একটা নির্দিষ্ট সময়েই হজ করা যায়। আর দ্বিতীয়ত, প্রতিটি দেশ থেকে কত মানুষ হজে আসবেন, তার একটা কোটা নির্ধারণ করে দেয় সৌদি আরব। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে সৌদি আরবের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশও কিন্তু হজে যান। যদিও তাঁরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক হতেই পারেন। গত বছর সৌদি আরবের যত বাসিন্দা হজে গিয়েছিলেন, সেই সংখ্যাটা অন্যান্য দেশ থেকে আসা মুসলমানদের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। কিন্তু গত দশ বছর ধরেই মোটামুটিভাবে হাজিদের এক তৃতীয়াংশই সৌদি আরবের বাসিন্দা। এর একটা কারণ মক্কা খুব কাছে। তাই ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে বেশ সস্তায় হজ সেরে নেন অনেকে। হজে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়া গেলেও সারা বছর ধরে উমরাহ করতে যাওয়া যায়। যেমন গত বছরই প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ উমরাহ করতে গিয়েছিলেন। নানা দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে গেছেন, তাঁদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই উমরাহ করতে গেছেন। সাত বছর আগে উমরাহ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষের কাছাকাছি। সৌদি আরবের হিসাব অনুযায়ী আগামী চার বছরের মধ্যে সংখ্যাটা বেড়ে এক কোটি ২০ লক্ষ হয়ে যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলামানেরা হজ পালন করতে যান। গত বছর হজ থেকে সৌদি আরবের সরাসরি রোজগার হয়েছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। সৌদি আরবে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন ওখানে গিয়ে। এই অর্থের একটা বড় অংশ কিন্তু সৌদি অর্থনীতিতেই যোগ হচ্ছে। মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাইরের দেশ থেকে আসা মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪৬০০ ডলার, আর স্থানীয়রা মাথাপিছু প্রায় ১৫০০ ডলার ব্যয় করেন। তবে একেক দেশ থেকে আসা হজযাত্রীদের জন্য আবার একেক রকম খরচ। যেমন ইরান থেকে আসা মানুষদের মাথাপিছু ৩০০০ ডলার খরচ লাগে। এর মধ্যে যাত্রা, খাওয়া, কেনাকাটা সব খরচই ধরা হয়। পাকিস্তান, বাংলাদেশের যাত্রীদেরও মোটামুটি একইরকম খরচ হয়। ইরান থেকে আসা এক হজ যাত্রী নাম উল্লেখ না করার শর্তে বিবিসির ফার্সী বিভাগকে জানিয়েছেন যে এ বছর তাঁর হজের বাজেট প্রায় আট হাজার ডলার। এর মধ্যে নিশ্চয়ই তাঁর ব্যক্তিগত খরচও ধরা আছে। তবে কোনো না কোনোভাবে অর্থটা সৌদি অর্থনীতিতেই ঢুকছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোটাই সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে দুই লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষ প্রতি বছর হজে যান। এটা মোট হজযাত্রী সংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) আর বাংলাদেশ (৮%)। নাইজেরিয়া, ইরান, তুর্কি, মিশর -এই দেশগুলোরও কোটা মোটামুটি একই রকম। অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে সৌদি আরবের যা রোজগার হয়, তার থেকেও বেশি আয় করে তারা হজ থেকে। তবে তারা চেষ্টা করছে তেল বিক্রি করে তাদের আয় আরও বাড়াতে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ ধারণা করছে, তেল উৎপাদন কম করার ব্যাপারে ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হার এ বছর শূন্যে নেমে যাবে। সেদেশের সরকার সেই ক্ষতিটা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। যার মধ্যে একটা বড় ক্ষেত্র হলো ধর্মীয় পর্যটন থেকে আয়। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: | Millions of Muslims from all walks of life have converged on Saudi Arabia to perform the pilgrimage known as the Hajj. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেইমানির সঙ্গে নিহত হয়েছেন ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহানদিস একটি বিবৃতিতে তারা বলছে, জেনারেল সোলেইমানির মৃত্যু ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপে হয়েছে যা জিহাদিদের সুবিধা এনে দেবে। তবে তারা সেই বিবৃতির কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখ করেনি, যে দেশটি গত ০৩ জানুয়ারি বাগদাদে সোলেইমানির ওপর ড্রোন হামলা করে। জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশের বেশ কিছু প্রভাব রয়েছে, যার একটি হচ্ছে জিহাদিদের বিরুদ্ধে অসমাপ্ত যুদ্ধের বিষয়টি। হামলার প্রায় পরপর যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান স্থগিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগীরা ঘোষণা করেছে যে, তাদের এখন প্রধান কাজ হচ্ছে নিজেদের রক্ষা করা। সামরিক দিক দিয়ে দেখলে, তাদের সামনে বিকল্প কোন পথও নেই। ইরান এবং ইরাকে তাদের সমর্থনপুষ্ট যে মিলিশিয়া বাহিনীগুলো রয়েছে, তারা সোলেইমানির গাড়ি বহরে হামলায় নিহতদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার শপথ ঘোষণা করেছে। আরো পড়ুন: ইরান হামলা: সঙ্কটে কে জিতলো কে হারলো ইরান কি ইচ্ছে করেই মার্কিন সৈন্যদের টার্গেট করেনি? ইরানের সাথে শর্ত ছাড়াই আলোচনায় রাজি আমেরিকা মিসাইল হামলার পর ইরান 'ক্ষান্ত দিয়েছে' - ট্রাম্প আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাকি বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতো যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের জোট বাহিনীর সদস্যরা এর ফলে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী এবং অন্য যে পশ্চিমা জোটের সদস্যরা তাদের সঙ্গে সেখানে কাজ করে, তাদেরকে সরাসরি বিপদের মুখে ফেলেছে। এটা আইএসের জন্য খুবই ভালো হয়েছে যারা এখন তাদের খেলাফত হারানোর আঘাত থেকে ফিরে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে পারবে। এটা চরমপন্থিদের জন্যও সুখবর যে, আমেরিকান সৈন্যদের অতিসত্বর দেশ ছেড়ে দিতে আহবান জানিয়েছে ইরাকের পার্লামেন্ট। অনেকে কয়েক বছর ধরে বার বার জেগে উঠেছে আইএস। এটির প্রথম জন্ম হয় আরেকটি জঙ্গী গ্রুপ, আল-কায়েদা ইন ইরাক থেকে। ইরাক ও সিরিয়া জুড়ে আইএসের রাজত্বের অবসান ঘটাতে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে বড় ধরণের একটি সামরিক অভিযানের দরকার হয়। অনেক জিহাদি যোদ্ধার মৃত্যু হয় অথবা কারাগারে ঠাঁই হয়। কিন্তু সংগঠনটিকে ধ্বংস করা যায় নি। এটা এখনো ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের পুরনো কিছু ঘাঁটিতে সক্রিয় রয়েছে। তারা গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে এবং হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। ইরাকে বিধ্বংসী হামলা অব্যাহত রেখেছে আইএস ইরাকে রয়েছে একটি কার্যকরী অভিজাত সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী, যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে প্রধানত আমেরিকান ও ইউরোপীয় জোট সদস্যরা। এই বাহিনীগুলো আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সোলেইমানি গুপ্তহত্যার পর, অভিযানের পাশাপাশি এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরে একই কাজ করেছে ডেনমার্ক ও জার্মানি। সামরিক প্রশিক্ষকদের সরিয়ে জর্ডান এবং কুয়েতে নিয়ে যাচ্ছে জার্মানি। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বেশিরভাগ ঝুঁকি নিয়েছে ইরাকি বাহিনী। কিন্তু প্রশিক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জামের জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর নির্ভর করতো, যারা এখন তাদের ঘাঁটিতে আসন গেড়ে রয়েছে। এছাড়া আরো কিছু আনন্দের বিষয় রয়েছে আইএস জঙ্গিদের জন্য। কারণ জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার মাধ্যমে তাদের দুই শত্রু, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান, একে ওপরকে হত্যার সুযোগ তৈরি করেছে। ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ইরান সমর্থিক শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর গ্রুপ পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স ২০১৪ সালে জিহাদিরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, ইরাকের দ্বিতীয় বড় শহর মসুলসহ অনেক এলাকা দখল করে নেয়। তখন ইরাকের প্রধান শিয়া ধর্মীয় নেতা, গ্র্যান্ড আয়াতোল্লাহ আলি আল-সিস্তানি সুন্নি চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়ার আহবান জানান। শিয়া যুবকরা তখন হাজারে হাজারে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠে-তাদেরকে একটি সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত করার ক্ষেত্রে সোলেইমানি এবং তার কুদস বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই মিলিশিয়া বাহিনী ছিল নির্মম, কখনো আইএসের নিষ্ঠুর শত্রু। এখন, ইরান সমর্থিত গ্রুপগুলো পপুলার মোবিলাইজেশন নামের একটি সংগঠনের আওতায় ইরাকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত হয়েছে। সবচেয়ে প্রধান সাড়ির মিলিশিয়া নেতারা ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক নেতা হয়ে উঠেছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিলিশিয়ারা একই শত্রুর বিপরীতে লড়েছে। কিন্তু শিয়া মিলিশিয়ারা এখন তাদের শেকড়ে ফিরে আসতে চাইছে, যার মূল ভিত্তি হলো ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা। সোলেইমানির সহায়তায় পাওয়া প্রশিক্ষণ এবং উন্নত অস্ত্র দিয়ে তারা অনেক আমেরিকান সেনাকে হত্যা করেছে। এটা একটা অন্যতম প্রধান কারণ, যে জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে সোলেইমানিকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমেরিকা ও ইরান আস্তে আস্তে যুদ্ধ প্রান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সোলেইমানি হত্যার আগে থেকেই শিয়া মিলিশিয়ারা আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করতে শুরু করেছিল। ইরাকি মিলিশিয়াদের ওপর ড্রোন হামলার পর বিক্ষোভকারীরা বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা করে গত ডিসেম্বরে উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে হামলায় একজন যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকাদার নিহত হয়। সেটার জবাবে বিমান হামলায় খাতিব হেজবুল্লাহ নামের একটি গ্রুপের ২৫ জন যোদ্ধা নিহত হয়। তাদের নেতা আবু মাহদি আল-মুহানদিস বাগদাদ বিমানবন্দরে সোলেইমানির সঙ্গে দেখা করেন এবং তার সঙ্গে একই গাড়িতে নিহত হন। আইএসের সাপ্তাহিক সংবাদপত্র আল-নাবায় একটি সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, সোলেইমানি এবং আল-মুহানদিস তাদের মিত্রদের হাতে নিহত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানো হচ্ছে। এটা বলছে, আইএসের শত্রুরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে, যা তাদের শক্তি এবং সম্পদের ক্ষয় করবে, শেষে লাভবান হবে জিহাদিরাই। ইতিহাসে দেখা গেছে, জিহাদি চরমপন্থিরা তখনি সবচেয়ে বেশি উন্নতি করে যখন তারা অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, দুর্বলতা এবং বিভক্ত শত্রুর সুবিধা পায়। অতীতে ঘটেছে এবং আবারো সেটা ঘটার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। | The Islamic State (IS) group has welcomed the death of Iranian general Qasem Soleimani, the head of the elite Quds Force. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ১৯৯৬ সালে রাসেল বাকলোকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৯৬ সালে সাবেক প্রেমিকাকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এবং একই সাথে সেই প্রেমিকার নতুন প্রেমিক ও ছয় বছর বয়সী ছেলেকে হত্যার জন্য ৫০ বছর বয়সী রাসেল বাকলোকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। রাসেল বাকলো বিষ ইনজেকশন না দিয়ে বরং গ্যাস প্রয়োগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুরোধ করেন। তিনি দাবি করেন যে তার মস্তিষ্কের বিরল একটি অসুখ রয়েছে। তিনি আদালতকে জানান যে এই অসুখের কারণে তার গলা, ঘাড় ও মুখে রক্তযুক্ত টিউমার হয়ে থাকে। বিষ ইনজেকশন প্রয়োগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে তাকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে হবে। আরো পড়ুন: ১২ বছরে ৩০০ মৃত্যুদণ্ডের সাক্ষী যে নারী ইমাম ছাড়াই আ্যালাবামার মুসলিম বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের প্যানেল। কারণ তাতে টিউমারগুলো ফেটে যেতে পারে। আদালত এক বিরল রায়ে বলেছে, "মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীর ব্যথাহীন মৃত্যুর অধিকার নেই।" আদালত বলেছে তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কার্যকর করার বিষয়টি বিলম্বিত করার কায়দা হিসেবে এই অসুখটিকে ব্যবহার করছেন। আদালত আরও বলেছে, কি প্রক্রিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে তার কষ্টের ঝুঁকি কম হবে সেটি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন মি. বাকলো। মামলা চলাকালীন মি. বাকলো যুক্তি তুলে ধরেন যে মার্কিন সংবিধানে নিষ্ঠুর সাজা আইনত অবৈধ। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে চায় তা নিষ্ঠুর সাজার সমতুল্য। ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া বিচারক নিল গরসাচ বলেন, "মার্কিন সংবিধানে নিষ্ঠুর কায়দায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা অবৈধ করা হলেও তাতে ব্যথাহীন মৃত্যুর নিশ্চয়তা নেই।" রাসেল বাকলোর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ বছর ধরে ঝুলে আছে। এই রায়ের ফলে সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে আর কোন বাধা রইলো না। অন্যান্য খবর: মানুষ কি করে অন্য প্রাণীর দুধ খেতে শিখলো? দিল্লির জামিয়াতে বাতিল 'ইসলাম-বিরোধী' ফ্যাশন শো পিউডিপাই-কে হারিয়ে ইউটিউবের শীর্ষে টি-সিরিজ | The US Supreme Court has ruled that a convicted murderer on death row in Missouri has no right to a "painless death". |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | আইনত আবায়া পরা মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক সৌদি আরবে মেয়েরা পা পর্যন্ত পুরো শরীর ঢেকে রাখা যে ঢিলেঢালা আচ্ছাদন ব্যবহার করে, তাকে আবায়া বলে। সেখানে আবায়া না পরে বাইরে যেতে দেখা যায় কম মহিলাকেই। সেখানে এটি পরা আইনত বাধ্যতামূলক। কিন্তু সৌদি আরবের 'কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস' বা সবচেয়ে বয়েজ্যোষ্ঠ ধর্মীয় চিন্তাবিদদের কাউন্সিলের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক বলেছেন, এটার দরকার নেই। সৌদি সমাজে যখন নানা রকম সংস্কারের চেষ্টা চলছে, তখনই একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা এ ধরণের একটি ধর্মীয় ব্যাখ্যা হাজির করলেন। শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক শুক্রবার বলেন, "মুসলিম বিশ্বের ৯০ শতাংশ মহিলাই 'আবায়া' পরেন না। কাজেই আমাদেরও উচিৎ হবে না মেয়েদের এটা পরতে বাধ্য করা।" সৌদি আরবে এই প্রথম এরকম উচ্চ পদের কোন ধর্মীয় নেতার মুখে এরকম কথা শোনা গেল। আরও পড়ুন: সাগর-রুনী হত্যা: গাফিলতি না ধামাচাপার চেষ্টা জেলখানায় কষ্টে আছেন খালেদা জিয়াঃ মওদুদ এবার কেন হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি গত মাস থেকে মেয়েদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার অনুমতি দেয়া হয়েছে প্রতিক্রিয়া তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ইতোমধ্যে অনলাইনে তীব্র বিতর্ক এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তার সমর্থনে কথা বলছেন। বিরোধিতাও করছেন অনেকে। টুইটারে মাশারি ঘামদি নামে একজন লিখেছেন, "আবায়া আমাদের অঞ্চলের একটা ঐতিহ্য। এটি োন ধর্মীয় ব্যাপার নয়।" তবে আরেকজন তীব্র বিরোধিতা করে লিখেছেন, "যদি একশো ফতোয়াও জারি করা হয় তারপরও আমি আামার আবায়া ছাড়বো না। মরলেও না। হে মেয়েরা, তোমরা এই ফতোয়ায় কান দিও না।" সৌদি আরবে মেয়েরা যখন আবায়া না পরে বাইরে যায়, তখন অনেক সময় ধর্মীয় পুলিশ তাদের এসে ভর্ৎসনা করে। ২০১৬ সালে রিয়াদের রাস্তায় এক মহিলা তার আবায়া খুলে ফেলার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সৌদি আরবে মেয়েদের কেবলমাত্র কালো রঙের আবায়ার পরিবর্তে আর বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের আবায়া পরতে দেখা যায়। লেবানীজ শিল্পী হিবা তাওয়াজি গান গাইছেন সৌদি রাজধানী রিয়াদের এক কনসার্টে লম্বা স্কার্ট বা জিন্সের সঙ্গে খোলা আবায়া পরাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আধুনিক তরুণীদের মধ্যে। সৌদি আরবে গত কিছুদিন ধরেই পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। গত বছর সেখানে বাণিজ্যিক সিনেমার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এ বছরের মার্চে সেখানে প্রথম সিনেমা হল খুলবে। গত ডিসেম্বরে সেখানে প্রথম কোন গানের কনসার্টে মহিলা সঙ্গীত শিল্পীকে গান গাইতে দেখা গেছে। সৌদি আরবে স্টেডিয়ামে গিয়ে মেয়েদের খেলার দেখারও অনুমতি দেয়া হয়েছে। | Saudi women should not have to wear the abaya, a long loose-fitting robe used to cover their bodies in public, a top religious cleric has said. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তিগুলোর সাথে চুক্তি করে ইরান মিস্টার ট্রাম্প বলছেন মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ও আরও কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। আয়াতুল্লাহ খামেনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলছেন এটি বলেছেন আমেরিকানদের ঘৃণ্য কূটনীতি হিসেবে। এক টুইট বার্তায় মিস্টার জারিফ ট্রাম্প প্রশাসনকে যুদ্ধে আগ্রহী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চুক্তির পর শক্তিশালী হতে শুরু করে ইরানি অর্থনীতি কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে? যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে আটজন সিনিয়র ইরানি কমান্ডার যারা দেশটির আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ড বাহিনীকে দেখভাল করে তাদেরকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। তারা বলছে মিস্টার ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অফিসও। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মিস্টার খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রিভলিউশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণা এ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার। বিবিসি বাংলায় পড়তে পারেন: আরবরা কি ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কার্যকর অলরাউন্ডার সাকিব আপনার পকেটের ফোনে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মিস্টার এমনুচিনে মতে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখন নিষেধাজ্ঞা কেনো? ২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দু দেশের সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততার দিকে। আরো পড়ুন: সাইবার হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিকল? 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প ইরানে আক্রমণের অনুমোদন দিয়েও পিছু হটলেন ট্রাম্প পরে ইরানর ওপর আরও চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয় তারা। পরে উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে কয়েকটি হামলার ঘটনাও ঘটে। এরপর ইরানি কর্মকর্তারা তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে। উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে আগুন এর কয়েকদিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। ইরান বলছে ড্রোনটি তার ভূখণ্ডে এসেছিলো আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিলো। ইরানের বিপ্লবী রিভলিউশনারি গার্ড বলেছে যে ড্রোন ভূপাতিত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে যে ইরানের সীমান্ত তাদের কাছে রেড লাইন। রিভলিউশনারি গার্ডের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন ড্রোনের কাছ দিয়েই উড়ে যাচ্ছিলো একটি সামরিক এয়ারক্রাফট যাতে ৩৫ জন যাত্রী ছিলো। তিনি বলেছেন সেটিও তারা ভূপাতিত করতে পারতেন কিন্তু করেননি। | US President Donald Trump has said he is imposing hard-hitting new sanctions on Iran, including on the office of the country's Supreme Leader Ali Khamenei. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এর আগে যারা কোভিড আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রে মানসিক এবং মস্তিস্কের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল কিংবা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিতে হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেশি। ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ লাখের বেশি রোগীর ইলেকট্রনিক তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেছে যে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের যে কোন একটি অবস্থা পরবর্তীতে তৈরি হতে পারে. . ব্রেইন হেমোরেজ . পারকিনসন্স . ডিমেনশিয়া . সাইকোসিস . মুড ডিসঅর্ডার . উদ্বেগ গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস মস্তিস্কে আক্রমণ করে। মানসিক অবসাদ এবং যে কোন কিছু নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হবার মতো বিষয়গুলো কোভিড ১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এবং বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তাদের ক্ষেত্রে মানসিক অবসাদ, অস্বস্তি এবং ভয় তৈরি হয়। অন্যদিকে স্ট্রোক এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির বিষয়টি নির্ভর করছে ভাইরাসের প্রতি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তার উপর। কারণ এবং প্রভাব এই গবেষণাটি পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। সুতরাং গবেষকরা বলতে পারছেন না কোভিড১৯ আক্রান্ত হবার কারণে এসব হয়েছে কি না। কারণ কিছু মানুষ হয়তো পরবর্তী ছয়মাসে এমনিতেই স্ট্রোক অথবা অবসাদে আক্রান্ত হতো। যারা কোভিড১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের সাথে অন্য দুটি গ্রুপের একটি তুলনা করেছিলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। অন্য দুটি গ্রুপ হচ্ছে - ফ্লুতে আক্রান্ত এবং অন্যটি হচ্ছে অন্যান্য শ্বাসতন্ত্র-জনিত সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিরা। গবেষকরা এই সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছেন যে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে শ্বাসযন্ত্র-জনিত সমস্যা না হয়ে মস্তিস্ক-জনিত সমস্যা হতে পারে। গবেষণার জন্য যাদের নেয়া হয়েছে তাদের বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্যগত অবস্থা - এসব কিছু বিবেচনা করা হয়েছে। যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৬ শতাংশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যেসব কোভিড আক্রান্ত রোগীর অবস্থা যত বেশি খারাপ ছিল তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে মানসিক সমস্যা এবং ব্রেইন ডিসঅর্ডার তত বেশি তৈরি হয়েছে। সাধারণভাবে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ২৪ শতাংশ বিভিন্ন ধরণের মানসিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে এটি ২৫ শতাংশ। কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ২ শতাংশ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু যারা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭ শতাংশ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ০.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া দেখা দিয়েছে। আর যাদের ক্ষেত্রে আগে থেকেই মস্তিষ্ক-জনিত সমস্যা ছিল তাদের মধ্যে ৫ শতাংশ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আরো খবর: এতো বিতর্ক সত্ত্বেও কেন মামুনুলকেই সমর্থন হেফাজতের হেফাজত ও আওয়ামী লীগ সখ্যতা: শুধু ভোটের জন্য? মাদভি হিডমা : বস্তারে ভারতীয় বাহিনীর রাতের ঘুম কেড়েছেন যে মাওবাদী কমান্ডার আলঝেইমার্স রিসার্চ ইউকে'র প্রধান গবেষক ড. সারা ইমারিসিয়ো বলেন, আগের গবেষণাগুলোতে দেখার চেষ্টা হয়েছিল যে যারা আলঝেইমার্স রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে কোভিড রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেন। সর্বশেষ এই গবেষণায় দেখার চেষ্টা হয়েছে যে এটি উল্টোভাবে হয় কি না। অর্থাৎ কোভিড আক্রান্ত হবার পরে আলঝেইমার্স রোগের ঝুঁকি বাড়ে কি না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির নিউরোলজির অধ্যাপক মাসুদ হোসেইন বলেন, এমন প্রমাণ রয়েছে যে করোনাভাইরাস সরাসরি মস্তিষ্কে ঢোকে এবং ক্ষতি করে। এর পরোক্ষ প্রভাবও থাকতে পারে। যেমন রক্ত জমাট বাঁধা, যার ফলে স্ট্রোক হতে পারে। লন্ডনের কিংস কলেজের ইন্সটিটিউট অব সাইকিয়াট্রি, সাইকোলজি এন্ড নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ডেইম টিল ওয়াইকেস বলেন, আমাদের সন্দেহ ছিল কোভিড১৯ শুধু শ্বাসতন্ত্র জনিত সমস্যা নয়। এই রোগ মানসিক এবং মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত। নতুন গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। | People diagnosed with Covid-19 in the previous six months were more likely to develop depression, dementia, psychosis and stroke, researchers have found. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | দাঙ্গায় বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটি এলাকা শুক্রবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে অ্যামনেস্টি আরও অভিযোগ করেছে যে দাঙ্গা আটকানোর জন্য যেমন পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় নি, তেমনই দাঙ্গা পীড়িত মানুষ যখন ফোন করে পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন, তখনও তাদের একাংশকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি। এবছরের ২৩শে ফেব্রুয়ারি উত্তর পূর্ব দিল্লিতে যে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা হয়েছিল, তাকে ভারতের রাজধানী শহরে সাড়ে তিন দশকের মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ দাঙ্গা বলে মনে করা হয়। ওই দাঙ্গায় নিহত হয়েছিলেন ৫০ জনেরও বেশি, যার মধ্যে বেশিরভাগই মুসলমান। দাঙ্গায় পুলিশের ভূমিকা যে অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা ভিডিওতেই দেখা গিয়েছিল - এর মধ্যে কয়েকটি বিবিসি নিজেও যাচাই করে সত্য বলে জানতে পেরেছিল। দিল্লির দাঙ্গায় নিহত ভূরে আলির জানাজার আগে তার পরিবারের শোকার্ত সদস্যরা। এখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার প্রকাশিত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদনে পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে। তারা বলছে, সামাজিক মাধ্যমে দাঙ্গার যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল, সেগুলি তাদের নিজস্ব পরীক্ষাগারে যাচাই করেছে, আবার ৫০ জনেরও বেশি দাঙ্গা পীড়িত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভিডিও সাক্ষাতকার নিয়েছে। যে ভিডিও সাক্ষাতকার তারা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে একজন মিসেস কিশমাথুন। তিনি দাঙ্গায় নিহত যুবক ফৈজান নামের একজনের মা। ফৈজান এবং তার কয়েকজন সঙ্গীর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল - যেখানে দেখা গিয়েছিল তারা কয়েকজন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে আর জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের এবং কিছু মানুষের সঙ্গে কয়েকজন পুলিশ কর্মী তাদের ক্রমাগত মেরে চলেছে লাঠি দিয়ে। দাঙ্গা থামানোর চেষ্টা না করে দিল্লি পুলিশ হিন্দু দাঙ্গাকারীদের সহযোগিতা করেছে ওই ভিডিওটি তোলার তিনদিন পরে ফৈজান মারা যায় বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মিসেস কিশমাথুন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে তার ছেলেকে মারধর করার পরে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল এবং ৩৬ ঘণ্টা কোনও অভিযোগ দায়ের না করেই আটক রেখেছিল। দাঙ্গার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে কী চিত্র উঠে এসেছে, সেটাই বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন ভারতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইনি এবং নীতিগত বিষয়ের প্রধান মৃণাল শর্মা। মিজ শর্মার কথায়, "ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় ১১ই মার্চ বলেছিলেন যে দিল্লির দাঙ্গা থামাতে পুলিশ খুব ভাল ভূমিকা পালন করেছে, অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যে তদন্ত চালিয়েছে, তাতে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে। পুলিশ যে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেটাই আমরা জানতে পারছি।" "কোথাও যেমন জানা গেছে যে ঘটনাস্থলে হাজির থাকা সত্ত্বেও পুলিশ দাঙ্গাকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে নি, কোনও ঘটনায় জানা গেছে যে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে। অথচ তাদের আবার দেখা গেছে এনআরসি-সিএএ বিরোধী প্রতিবাদকারীদের গ্রেপ্তার করতে। অনেককে গ্রেপ্তার করে আদালতে না তুলেও আইন ভেঙ্গেছে দিল্লি পুলিশের একাংশ। আটককৃতদের বেশিরভাগই মুসলমান - এটাও জানা গেছে,"বলছিলেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মৃণাল শর্মা। সম্পর্কিত খবর: দিল্লির দাঙ্গা উপদ্রুত জাফরাবাদে যা দেখছেন বিবিসির সংবাদদাতা দিল্লিতে যেভাবে মুসলমানদের বাড়িঘর টার্গেট করা হয় দিল্লিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪, দাঙ্গার পেছনে কারণ কী? দিল্লি দাঙ্গার চার্জশিটে বিজেপি নেতাদের রেহাই, অভিযুক্ত মুসলিম বিক্ষোভকারীরাই সামাজিক মাধ্যমে দিল্লি দাঙ্গার যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল, তারই একটা ছিল পুলিশ দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে মিলে পাথর ছুঁড়ছে। ওই ভিডিওর সত্যতা বিবিসি যাচাই করে দেখেছিল। দাঙ্গা এবং তার পরবর্তী সময়ে উত্তরপূর্ব দিল্লির নানা এলাকায় ঘুরে খবর যোগাড় করেছেন বিবিসির হিন্দি বিভাগের সাংবাদিক কীর্তি দুবে। তিনি বলছিলেন,"বিবিসি একটা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেছে, যেখানে দাঙ্গাকারী আর পুলিশ একসঙ্গে মিলে পাথর ছুঁড়ছে। ওই ভিডিওটা ছাড়াও উত্তর-পূর্ব দিল্লির নানা এলাকায় যখন আমি ঘুরেছি, দাঙ্গা পীড়িতদের সঙ্গে, বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারাও আমার কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছে।" এর মধ্যে যেমন আছে, দাঙ্গার সময়ে পুলিশ কন্ট্রোলে ফোন করে সাড়া না পাওয়া আবার তেমনি আছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ বিশেষ কোনও ভূমিকা না নেয়া, বলছিলেন কীর্তি দুবে। কয়েকজন যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে জোর করে জাতীয় সঙ্গিত গাইয়েছে পুলিশ বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে অবশ্য দিল্লি পুলিশের এক মুখপাত্র সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, কোনও পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে যদি এধরণের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে নিশ্চয়ই তদন্ত করা হবে। কিন্তু অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ছ'মাস পেরিয়ে গেলেও দাঙ্গার সময়ে দিল্লি পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, তার একটিরও তদন্ত হয় নি। তারা বলছে, দাঙ্গার ঘটনাগুলিতে ৭৫০টিরও বেশি এফআইআর করেছে, ২০০-র বেশি চার্জশীট জমা দিয়েছে, কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একটি মামলাও রুজু হয় নি বা কোনও তদন্তও হয় নি বলে জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি। মৃণাল শর্মার কথায়, "এর থেকেই বোঝা যায় যে দিল্লি পুলিশের যে ভূমিকা ছিল, তার পিছনে সরকারি মদত রয়েছে। আমরা চাই পুলিশের ভূমিকার একটা নিরপেক্ষ তদন্ত। তাতে যেমন নাগরিক সমাজের সদস্যরা থাকতে পারেন তেমনই বিচারকরাও থাকতে পারেন। এই তদন্ত কমিটিকে এমন ক্ষমতা দেওয়া উচিত, যাতে তারা আইন মোতাবেক কাউকে শমন পাঠিয়ে সাক্ষ্য দিতে ডাকতে পারে। কিন্তু তাতে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে রাখা চলবে না।" দাঙ্গার পর দিল্লির উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে যা দেখেছেন বিবিসির সাংবাদিক | Indian police "committed serious human rights violations" during deadly religious riots in Delhi earlier this year, Amnesty International alleges. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | আমেরিকার ভিসা পেতে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে লক্ষ-লক্ষ মানুষ আবেদন করে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নূতন নিয়মে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহৃত নাম এবং গত পাঁচ বছর যাবত ব্যবহার করছে এমন ই-মেইল এবং ফোন নম্বর জমা দিতে হবে। গত বছর যখন এই নিয়মের প্রস্তাব করা হয়, তখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর হিসেব করে দেখেছিল যে এর ফলে এক কোটি সাতচল্লিশ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করবে। কূটনীতিক এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসার ক্ষেত্রে সবসময় এই কঠোর ব্যবস্থা নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কিংবা পড়াশুনার জন্য যারা যেতে আগ্রহী তাদের তথ্য জমা দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কে কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে তাকে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার না করে তাহলে সেটি উল্লেখ করার সুযোগ থাকবে ভিসা আবেদন ফর্মে। ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মকাণ্ড নজরদারীতে রাখতে চায় মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে দেখা গেছে যে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের জন্য একটি ক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বাছাই করা সম্ভব হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন এ নিয়মের প্রস্তাব করে। সে সময় আমেরিকার একটি মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন বলেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারী করে কোন কার্যকর কিছু হয়েছে এমন প্রমাণ নেই। সংস্থাটি বলেছে, এর ফলে মানুষ অনলাইনে তাদের মতপ্রকাশের বিষয়টি নিজে থেকেই সীমিত করে ফেলবে। | Nearly all applicants for US visas will have to submit their social media details under newly adopted rules. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | আলবেনিয়ায় মুজাহিদিন-ই-খাল্কের কিছু সদস্য এদের অনেকের অভিযোগ, মুজাহিদিন-ই-খাল্ক গোষ্ঠীর কঠোর অনুশাসন তাদের ব্যক্তিজীবনে সমস্যা তৈরি করছে। এসব অনুশাসনের মধ্যে রয়েছে সেক্স না করা, এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ। এদের মধ্যে কিছু এমইকে সদস্য আলবেনিয়ার রাজধানী টিরানায় বসবাস করছেন। "গত ৩৭ বছর ধরে আমার স্ত্রী আর ছেলের সাথে কোন কথা হয়নি। তারা ধরে নিয়েছিল আমি আর বেঁচে নেই। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, 'না, আমি বেঁচে আছি, এখন আলবেনিয়ায় থাকি … একথা শুনে তারা কেঁদেছে।" গোলাম মির্জাইয়ের জন্য এত দীর্ঘদিন পর স্ত্রী-সন্তানের সাথে যোগাযোগ করা খুব সহজ অভিজ্ঞতা ছিল না। তার বয়স এখন ৬০। টিরানার উপকণ্ঠে এমইকে'র সামরিক ক্যাম্প থেকে দু'বছর আগে তিনি পালিয়ে যান। তিনি এখন টিরানায় কোনমতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও দু:খ পান যখন অনেকেই অভিযোগ করেন যে তিনি এখন চিরশত্রু ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করছেন। এমইকে'র ইতিহাস ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এবং রক্তাক্ত। এটি মূলত ইসলামপন্থী মার্কসবাদীদের একটি সংগঠন। ১৯৭৯ সালে যে ইসলামী বিপ্লব ইরানের শাহ্-কে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এমইকে সেই অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু এক সময় আয়াতোল্লাহ্ খোমেনির সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করলে এমইকে সদস্যরা গা ঢাকা দেন। গোলাম মির্জাই, বহু বছর যার সাথে পরিবারের যোগাযোগ নেই। প্রতিবেশী দেশ ইরাক তাদের আশ্রয় দেয়। এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় এমইকে সাদ্দাম হোসেনের পক্ষে নিজের মাতৃভূমির বিরুদ্ধে লড়াই করে। গোলাম মির্জাই নিজে অবশ্য একসময় ইরানের সেনাবাহিনীতে ছিলেন। ইরাক-ইরান যুদ্ধের গোড়ার দিকে তিনি ইরাকী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং যুদ্ধবন্দি হিসেবে আট বছর ইরাকে আটক ছিলেন। সে সময় তার মত বন্দিদের ইরানের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছিল, এবং তিনি সেটাই করেন। মি. মির্জাইকে এখন 'সাবেক সাথী' হিসেবে বর্ণনা করা হয়। সংগঠনটি আলবেনিয়ায় সরে যাওয়ার পর এমইকে ত্যাগ করেছেন যেসব শত শত সদস্য তিনি তাদের একজন। এদের মধ্যে অনেকেই নানা পথে ইউরোপের অন্যান্য দেশে চলে গেছেন। কিন্তু বহু সদস্য এখনও টিরানায় বসবাস করছেন, যেখানে তারা রাষ্ট্রহীন, গৃহহীন ও কর্মহীন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ একসময় এমইকে'কে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাহলে এমইকে'র লড়াকু যোদ্ধারা কিভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপের এই ছোট্ট দেশে গিয়ে হাজির হলেন? দু'হাজার তিন সালে ইরাকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন অভিযানের সময় এমইকে চরম বিপদে পড়ে যায়। তাদের রক্ষাকর্তা সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর এমইকে নানা দিক থেকে আক্রমণের মুখে পড়ে। বহু সদস্য প্রাণ হারান। তাদের এই সঙ্গিন মুহূর্তে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে সাহায্য আসে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। মূলত আমেরিকাই আলবেনিয়ার সরকারকে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্রায় ৩০০০ এমইকে সদস্যকে আলবেনিয়ায় নিয়ে যায়। তেহরানে আটক এমইকে সদস্য। ১৯৮২ সালের ছবি। আরও পড়তে পারেন: 'যুদ্ধ বাধলে নিশ্চিহ্ন হবে ইরান', বলছেন ট্রাম্প সৌদি আরবে হামলার ঝুঁকি ইরান কেন নেবে? বিশ্ব তেল বাজারে 'ইরান হুমকি' নিয়ে সতর্ক করলেন সৌদি যুবরাজ "আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি, হামলার হাত থেকে রক্ষা করেছি। এমন একটি দেশে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ করে দিয়েছি যেখানে তারা কোন ধরনরে হেনস্থা, আক্রমণ বা দমনের শিকার হবে না" - বলছেন আলবেনিয়ার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা লুলঝিম বাসা। তারা এখন বিরোধীদলে, কিন্তু মুজাহেদিন-ই-খাল্ক সদস্যদের আলবেনিয়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় তারাই দেশের ক্ষমতায় ছিলেন। আলবেনিয়ার রাজনীতি বিভক্ত হলেও একটা বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য রয়েছে। সেটা হলো এমইকে'র উপস্থিতি। ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদল উভয়েই প্রকাশ্যে তাদের ইরানি অতিথিদের সমর্থন করে। আলবেনিয়ায় যাওয়ার পর এমইকে'র সদস্যদের নতুন জীবন শুরু হয়। গোলাম মির্জাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে সে দেশের শিশুদের হাতেও মোবাইল ফোন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে টিরানার উপকণ্ঠে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে এমইকে'র সদস্যদের রাখা হয়। ইরাকে তাদের জীবন যেমন কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে ছিল, টিরানাতে সেই নিয়মকানুন শিথিল হয়ে পড়ে। "আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের পেছনে ছিল কিছু পতিত জমি। আমাদের অধিনায়করা বললেন ওখানে আমাদের প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে হবে," বলছেন হাসান হেয়রানি। তিনিও এমইকে'র একজন সাবেক সদস্য। পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য মি. হেয়রানি এবং তার সহকর্মীরা টিরানার ইন্টারনেট ক্যাফেগুলোর বাইরের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকতেন। "আমরা যখন ইরাকে ছিলাম তখন বাড়িতে ফোন করতে চাইলে বলা হতো আমরা দুর্বল," তিনি বলছেন, "কিন্তু টিরানায় আসার পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা আত্মীয়স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতাম।" ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন মুজাহিদিন-ই-খাল্কের নারী সদস্যরা (১৯৮৪) দু'হাজার সতের সালের শেষ নাগাদ, এমইকে তার সদর দপ্তর পরিবর্তন করে। টিরানা থেকে ৩০ কি.মি. দূরে একটি পাহাড়ের ঢালে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। বিশাল লোহার গেটের ভেতরে রয়েছে মার্বেলের খিলান - যার ওপর বসে আছে সোনালি এক সিংহের মূর্তি। বিনা আমন্ত্রণে সাংবাদিকদের ওখানে ঢোকা নিষেধ। তবে চলতি বছর জুলাই মাসে ঐ ক্যাম্পে ইরানের মুক্তির ওপর এক অনুষ্ঠানে হয় যেখানে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন। বিভিন্ন দেশ থেকে রাজনীতিবিদ, গুরুত্বপূর্ণ আলবেনিয়ান এবং পাশের গ্রাম মানজে থেকে অতিথিরা ঐ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। এমইকে প্রধান মারিয়াম রাজাভির সাথে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি। সামরিক পোশাক পরা এমইকে'র সদস্যদের প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, "এই লোকেরা স্বাধীনতার জন্য নিবেদিতপ্রাণ।" মি. জুলিয়ানির মতো ক্ষমতাশালী রাজনীতিবিদরা ইরানে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চান। এমইকে'র ইশতেহারে স্বাধীন ইরানে মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু হাসান হেয়রানি এসব বিশ্বাস করেন না। এমইকে'র সদস্যদের ব্যক্তি জীবনের ওপর নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করে গত বছর তিনি ঐ সংগঠন ত্যাগ করেন। তার বয়স যখন ২০ বছর তখন এমইকে'র বহুত্ববাদী রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তিনি ঐ গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন। এমইকে'র একটি মিটিং-এ যোগদানের ঘটনাটি তাকে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য করেছিল। হাসান হেয়রানি। "আমাদের হাতে থাকতো ছোট্ট একটি নোটবুক। সেখানে আমাদের নানা যৌন অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখতে হতো। যেমন, 'আজ সকালে আমি বেশ উত্তেজিত হয়েছিলাম।'" আর নোটবুকের এসব লেখা এমইকে'র সদস্যদের প্রকাশ্যে মিটিঙের মধ্যে দাঁড়িয়ে সবাইকে পড়ে শোনাতে হতো। এমইকে'র সদস্যদের প্রেম কিংবা বিয়ে করা নিষিদ্ধ। কিন্তু এই বিধিনিষেধ আগে ছিল না। তখন আত্মীয়স্বজন এমইকে'র সদস্যদের সাথে দেখা করতে পারতো। কিন্তু ইরানের হাতে শোচনীয় পরাজয়ের পর এমইকে'র নেতারা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে সদস্যদের পারিবারিক পিছুটানের জন্যই ঐ পরাজয় হয়েছে। এরপর এমইকে'র সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক হাতে বিবাহ বিচ্ছেদ শুরু হয়। শিশুদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দত্তক দেয়া হয়। অবিবাহিত এমইকে'র সদস্যরা ঐ আইন মেনে নেন। হাসান হেয়রানি, ২০০৬ সালে ইরাকে। "যে কোন মানুষের জন্য এটা করা খুব কঠিন কাজ," বলছেন তিনি। এসব বিষয় নিয়ে বিবিসি মুজাহিদিন-ই-খাল্ক'র সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন জবাব দিতে চায় নি। এমইকে'র প্রতি সমর্থন থাকলেও আলবেনিয়াতে অনেকেই এই গোষ্ঠীকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বলে মনে করেন। মুজাহেদিনদের হত্যা করার চেষ্টা করেছেন, এই অভিযোগে আলবেনিয়া থেকে দু'জন ইরানি কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে যে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক কিংবা ফ্রান্সে ইরানের চরেরা এমইকে'র নেতাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। এমইকে'র ইরান মুক্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছেন রুডি জুলিয়ানি। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: নেতাদের পদত্যাগ: কতটা চিন্তায় পড়েছে বিএনপি? বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলায় আজও সাজা হয়নি কারো রাজস্ব বোর্ড কি 'তামাক কোম্পানির পক্ষ নিচ্ছে?' কূটনীতিকরা মনে করছেন, এমইকে'র কিছু সাবেক সদস্য নিশ্চিতভাবেই ইরানের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছেন। গোলাম মির্জাই কিংবা হাসান হেয়রানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে খোদ এমইকে থেকেই। তবে দু'জনেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই দু'জনেই এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন। হাসান হেয়রানি টিরানাতে একটি ক্যাফে চালু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু গোলাম মির্জাইয়ের পরিস্থিতি বেশ সঙ্গিন। হাতে টাকাপয়সাও নেই। তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। যুদ্ধের সময় আহত হয়েছিলেন। এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটেন। পরিবারের সাথে তার দীর্ঘদিন যোগাযোগ ছিল না। ৩৫ বছর পর তিনি প্রথমবারের মতো পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। "বহুদিন ধরে আমার স্ত্রী আর সন্তানের কথা ভেবেছি। এক সময় মনে হতো যুদ্ধের সময় এরা হয়তো সবাই মারা গেছে," বলছেন তিনি, "আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমার স্ত্রীর আর সন্তানের কাছে ফিরে যেতে চাই।" গোলাম মির্জাই সাহায্য চেয়ে টিরানার ইরানি দূতাবাসের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। এখনও বাড়ি ফেরার স্বপ্ন বুকে আঁকড়ে রেখেছেন তিনি। কিন্তু নাগরিকত্ব হারিয়ে, পাসপোর্ট হারিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া মি. মির্জাইয়ের সামনে এখন আর কোন পথ খোলা নেই। আলবেনিয়ার টিরানায় এমইকে'র নারী সৈন্য। | For six years, Albania has been home to one of Iran's main opposition groups, the Mujahideen-e-Khalq, or MEK. But hundreds of members have walked out - some complaining about the organisation's rigid rules enforcing celibacy, and control over contact with family. Now, dozens languish in the Albanian capital, Tirana, unable to return to Iran or get on with their lives. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | মা নকুবঙ্গা কাম্পি। এই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছিল কিন্তু জনগণের প্রতিবাদের কারণে তার বিচার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এর ফলে এখন তিনি তার মেয়ের সেরে ওঠার ব্যাপারে তাকে সাহায্য করার সময় পেয়েছেন। নকুবঙ্গা কাম্পি কাছে যখন ফোনটা হলো তখন মধ্যরাত। ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। রাতে বেজে উঠলো ফোন ফোনের ওপাশে তার মেয়ে সিফোকাজি। নকুবঙ্গার কাছ থেকে ৫০০ মিটার দূরে। সিফোকাজি তার মাকে জানালেন যে তিনজন পুরুষ তাকে ধর্ষণ করেছে এবং তাদেরকে তারা সবাই বেশ ভালো মতোই চেনে। খবরটা শুনে নকুবঙ্গা প্রথমেই তার মেয়েকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে বললেন। কিন্তু ওপাশ থেকে তিনি কোন সাড়া পেলেন না। মা নকুবঙ্গা জানতেন পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেইপ প্রদেশের প্রত্যন্ত এই গ্রামটিতে পৌঁছাতে তাদের অনেক সময় লাগবে। সিফোকাজি ভেবেছিলেন এরকম একটা সময়ে সাহায্যের জন্যে হয়তো তার মা-ই একমাত্র আছেন, যিনি এগিয়ে যেতে পারেন। "আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি যেতে বাধ্য হলাম কারণ সে তো আমারই মেয়ে," বলেন মা নকুবঙ্গা। "আমি ভাবছিলাম যখন আমি পৌঁছাবো তখন হয়তো দেখবো সে মরে পড়ে আছে। কারণ সে তো ধর্ষণকারীদের চিনতো।" "ওই লোকগুলো যেহেতু তাকে চেনে, সে কারণে ওরা নিশ্চয়ই আমার মেযেকে মেরে ফেলতো - যাতে সে ধর্ষণের ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে না পারে।" গ্রামের বাড়িতে মা নকুবঙ্গা। সিফোকাজি কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা করতে ওই গ্রামেরই আরেকটি বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তার বন্ধুরা তাকে একা রেখে বাড়ির বাইরে চলে যায়। রাত দেড়টার দিকে আশেপাশের আরেকটি বাড়ি থেকে তিনজন মাতাল পুরুষ এসে তাকে আক্রমণ করে। ছুরি নিয়ে বের হয়ে গেলেন মা নকুবঙ্গা যে বাড়িতে থাকেন তাতে বেডরুম ছাড়াও আছে আরো দুটো ঘর। ঘুম থেকে ওঠে তিনি কিচেনে গিয়ে সেখান থেকে একটি ছুরি হাতে নিলেন। "ছুরিটা আমি নিয়েছিলাম আমার নিজের জন্য। রাতের অন্ধকারে যখন রাস্তা দিয়ে ওই বাড়িতে হেঁটে যাবো, ভেবেছিলাম ওটা আমার জন্যে নিরাপদ হবে না। খুব অন্ধকার ছিল বাইরে। মোবাইল থেকে টর্চের আলো জ্বালিয়ে পথ দেখে দেখে আমাকে যেতে হয়েছিল।" মা নকুবঙ্গা যখন ওই বাড়ির কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছালেন তখন তিনি মেয়ের চিৎকার শুনতে পেলেন। বাড়িটির বেডরুমে ঢোকার পর মোবাইল ফোনের টর্চের আলোতে তিনি দেখলেন সেই ভয়াবহ দৃশ্য - তার মেয়েকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। "খুব ভয় পেয়ে যাই। কোন রকমে দরজার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম তারা ওখানে কী করছে। আমাকে দেখে তারা আমার উপর আক্রমণ চালাতে ছুটে এলো। ঠিক ওই মুহূর্তে আমার নিজেকে বাঁচানোর কথা মনে হয়েছিল।" তার পর কী কী হয়েছিল নকুবঙ্গা সে বিষয়ে আর বিস্তারিত বলতে চাইলেন না। মায়ের চোখের সামনে এই মামলার বিচারের সময় বিচারক আদালতে বলেছিলেন, "নকুবঙ্গার সাক্ষ্য থেকে বোঝা যায় যে তিনি কতোটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। কারণ তিনি দেখতে পেলেন যে তার মেয়েকে তার চোখের সামনে ধর্ষণ করা হচ্ছে।" "তিনি বলেছেন যে তিনজন পুরুষের একজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করছিল, আর দু'জন প্যান্ট খোলা অবস্থায় পাশেই দাঁড়িয়েছিল। তারা অপেক্ষা করছিল তাদের পালা কখন আবার আসবে।" বিচারক এম্বুলেলো জলওয়ানা বলেন, "তিনি যে খুব ক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সেটা বোঝা যায়।" নকুবঙ্গা পরিচিত হয়ে উঠেন একজন 'সিংহী মা' হিসেবে। আরো পড়তে পারেন: নির্ভয়া ধর্ষণ: আলোচনার বাইরেই রয়ে গেলেন যে নারী স্বামীর হাতে ধর্ষণ: বাংলাদেশে এক নারীর অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনে নারী খেলোয়াড়রা কতটা নিরাপদ এটা পরিষ্কার যে ওই পুরুষরা যখন নকুবঙ্গাকে আক্রমণ করে তখন তিনিও তার ছুরি দিয়ে পাল্টা আঘাত করেছিলেন। যখন তারা পালাতে উদ্যত হয় তখন তিনি ছুরি মারেন। তাদের একজন জানালা দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ধর্ষণকারীদের দু'জন গুরুতর আহত হয় এবং অন্যজন মারা যায়। ওই লোকগুলো কতোটা আহত হয়েছিল নকুবঙ্গা সেটা দেখার জন্য ওই বাড়িতে আর অবস্থান করেন নি। বরং তার মেয়েকে নিয়ে চলে যান কাছেই এক বন্ধুর বাড়িতে। পুলিশ এসে নকুবঙ্গাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো স্থানীয় একটি পুলিশ স্টেশনে। সেখানে একটি সেলে তাকে বন্দী করে রাখা হলো। "আমি শুধু আমার মেয়ের কথা ভাবছিলাম," বলেন তিনি, "তার কোন খবর ছিল না আমার কাছে। এটা এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা।" মেয়ে হাসপাতালে মেয়ে সিফোকাজিকে ততক্ষণে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সেখানে শুয়ে শুয়ে ভাবছিলেন মায়ের যেন কী অবস্থা! আর খুনের কারণে মাকে কতো বছর জেলে কাটাতে হবে - সেটা ভেবে তিনি অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। "তাকে যদি কারাগারে যেতে হয়ে, তার হয়ে আমি জেল খাটতে রাজি আছি," বলেন সিফোকাজি। মেয়ে সিফোকাজি এখন ওই রাতে তার ওপর চালানো হামলার খুব সামান্যই স্মরণ করতে পারেন। কিন্তু তিনি মনে করতে পারেন যে দুদিন পর তার মা হাসপাতালে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। জামিনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল মেয়ের সাথে দেখা করার জন্যে। এর পর থেকেই তারা দু'জনে একে অপরকে মানসিকভাবে সাহায্য দিয়ে আসছেন। "আমাকে কোন কাউন্সেলিং দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমার মা আমাকে সহযোগিতা করছেন। আমি সেরে উঠছি," বলেন সিফোকাজি। মা নকুবঙ্গা চান আগের মতোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে। সেজন্যে চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। "আমি তো এখনও একজন মা এবং সে একজন কন্যা," বলেন তিনি। তারা এখন একসাথে হাসেন, কাঁদেন। সুখ দুঃখের গল্প শেয়ার করেন। মজাও করেন তারা। বলেন, সিফোকাজি বিয়ে করতে পারছে না কারণ বিয়ে হয়ে গেলে মা নকুবঙ্গাকে দেখার আর কেউ থাকবে না। মায়ের সাথে মেয়ে সিফোকাজি। নকুবঙ্গার আইনজীবী বুলে টনিস বলেন, ঘটনার এক সপ্তাহ পর তিনি যখন তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, মনে হয়েছিল তারা জীবনের হাল ছেড়ে দিয়েছেন। "তাদের দারিদ্র এতোটাই প্রকট যে তারা ভাবছিল একজন জেলখানায় চলে গেলে আরেকজনের তখন কী হবে। তার পাশে তো দাঁড়ানোর কেউ থাকবে না। বিচার ব্যবস্থা তাদের জন্যে - যাদের কাছে অর্থ আছে।" তিনি যখন মা ও মেয়ের সাথে কথা বলছিলেন তখন তারা ঠিকমতো কথাও বলতে পারছিলেন না। তার মনে হলো ওই ঘটনা যেন তাদের মুখের কথাও কেড়ে নিয়েছে। দিনে ১১০টি ধর্ষণ দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রচুর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বলা হয় যে দিনে গড়ে ১১০টির মতো ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং এই পরিস্থিতিকে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা দেশের জন্য জাতীয় সঙ্কট বলে উল্লেখ করেছিলেন। ইস্টার্ন কেইপ প্রদেশে, যেখানে সিফোকাজিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, দেশটির অন্যতম দরিদ্র এলাকা, বেকারত্বের হার ৪৫ শতাংশ। অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে এই প্রদেশে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে বেশি। নকুবঙ্গা এবং সিফোকাজি যে গ্রামে থাকেন, সেই গ্রামেই ২০১৭/১৮ সালে ৭৪টি ধর্ষণের ঘটনা পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে। যে গ্রামে মাত্র ৫ হাজারেরও কম মানুষের বসবাস - সেখানে এই সংখ্যা খুবই বেশি। আলোড়ন তুললো এই খবর কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় এতো সব ধর্ষণের খবরের মধ্যে সিফোকাজি ও নকুবঙ্গার ঘটনা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। ধর্ষিতা মেয়েকে বাঁচাতে মায়ের এই গল্প উঠে এলো সংবাদ মাধ্যমে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লো খুব দ্রুত। মা ও মেয়ের পরিচয় গোপন রাখতে গিয়ে একটি পত্রিকা মায়ের নাম দিল 'লায়ন মামা' অর্থাৎ 'সিংহী মা।' খবরটি পাশে একটি ছবি ছাপা হলো যাতে একটি সিংহী তার শাবককে আগলে রেখেছে। এই নামটি খুবই আলোড়ন সৃষ্টি করলো। মা নকুবঙ্গা বলেন, "প্রথমে এটা আমার পছন্দ হয়নি। কারণ আমি কিছু বুঝতে পারিনি। কিন্তু পরে যখন বুঝলাম যে আমাকে একজন বীর হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে তখন খারাপ লাগেনি। একটা সিংহ তার বাচ্চাকে তো রক্ষা করবেই।" মেয়ে সিফোকাজি। আরো পড়তে পারেন: চলচ্চিত্রের ধর্ষণ দৃশ্য সমাজে কী প্রভাব ফেলছে? বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণ: সামাজিক মাধ্যমের মন্তব্য ভারতে মৃত্যুদন্ড কি ধর্ষণ ঠেকাতে পারবে? অভিবাসীদের জন্য ধর্ষণ প্রতিরোধে ক্লাস নকুবঙ্গার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করলো দক্ষিণ আফ্রিকার লোকজন। তার আইনি লড়াই-এ সহযোগিতা করতে তারা অর্থ সংগ্রহেও নেমে পড়ে। তার পর থেকে ধীরে ধীরে তার প্রতি জনগণের সমর্থন বাড়তেই লাগলো। মানসিকভাবেও তিনি কিছুটা শক্তি পেতে শুরু করলেন। ঘটনার এক মাস পর তিনি উপস্থিত হলেন স্থানীয় একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। "আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে আমি ভয়ে ছিলাম। সকালে ঘুম থেকে আমি প্রার্থনা করলাম।" তিনি যখন আদালতে গিয়ে হাজির হলেন - দেখলেন, সেখানে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে আরো বহু শুভাকাঙ্ক্ষী ইতোমধ্যেই সেখানে জড়ো হয়েছেন। "সারা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই লোকজন এসেছিল। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে খুব জোরালো সমর্থন দিয়েছিল। দিয়েছিল আশাও।" তুলে নেওয়া হলো মামলা তখন তাকে খুব দ্রুত আদালতের সামনে হাজির করা হলো এবং বলা হলো যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। "আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম। খুব খুশি হয়েছিলাম তখন। তখন বুঝলাম যে কোনটা ভুল আর কোনটা ঠিক বিচার ব্যবস্থা সেটা নির্ধারণ করতে পারে। তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল যে কারো জীবন কেড়ে নেওয়া আমার লক্ষ্য ছিল না।" তার আইনজীবী বলেন, "মামলা তুলে নেওয়ার পর মা তার মেয়েকে ডাকলেন। সেদিনই প্রথম আমি তার মেয়েকে হাসতে দেখলাম। সেদিন সে বলেছিল যে ধর্ষণকারীদেরকে সে জেলখানায় দেখতে চায়।" এজন্যে তাদেরকে আরো এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বেঁচে থাকা দুজন ধর্ষণকারীকে ৩০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সিফোকাজির বয়স এখন ২৭। ধর্ষণকারীদের বিচার ও সাজা হওয়ার কারণে তিনি খুশি। "কিছুটা নিরাপদও বোধ করি আমি। তবে ওদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া উচিৎ ছিল।" এর পরে মামলাটি যখন পুরোপুরি বাতিল হয়ে গেল তখন তিনি নাম প্রকাশ করতে এগিয়ে এলেন যাতে ধর্ষণের শিকার অন্যান্যরাও তার ঘটনা থেকে উৎসাহিত হয়। "আমি বলবো যে এরকম একটা ঘটনার পরেও জীবন আছে। এর পরেও আপনি সমাজে ফিরে যেতে পারেন। পারেন খুব স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যেতে।" মা নকুবঙ্গাও আশা করেন যে তার মেয়ের ধর্ষণকারীরা এই ঘটনা থেকে শিক্ষণীয় কিছু একটা পাবে। "তাদের সাজা যখন শেষ হয়ে যাবে, আমি আশা করছি, তারা নিজেদের বদলে নতুন মানুষ হিসেবে সমাজে ফিরে যাবে। মানুষের কাছে তারা হয়ে থাকবে জীবন্ত উদাহরণ।" আরো পড়তে পারেন: 'গোয়েন্দা তথ্য, সরকারি সিদ্ধান্তে' সেন্ট মার্টিনে বিজিবি খালিফা হাফতারঃ লিবিয়ার নতুন নেতা? 'শিশুটি মারা যাওয়ার পর চিকিৎসক পা ধরে মাফ চাইতে আসছিলো' | Nokubonga Qampi became known as the "Lion Mama" in South Africa after she killed one of three men raping her daughter and wounded the others. She was charged with murder - but after a public outcry the prosecution was halted, and she was able to focus her efforts on her daughter's recovery. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | Arnold Schwarzenegger starts a conversation about mental health আলি নামের এক ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম রেডিট'এ কিংবদন্তী বডি বিল্ডার মি. শোয়ার্জনেগারকে একটি মেসেজ করেছিলেন অনুপ্রেরণামূলক কিছু উপদেশ চেয়ে। মি. আলি মেসেজে লেখেন যে তিনি 'কয়েক মাস ধরে বিষন্নতায় ভুগছেন' এবং ব্যায়াম করা ছেড়ে দিয়েছেন। কানাডা'র কুইবেকে'র বাসিন্দা আলি বিবিসি'কে বলেন, "আমি বিছানায় পড়ে ছিলাম এবং খুবই হতাশ বোধ করছিলাম যখন ঐ মেসেজটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। বেশ কয়েকমাস ধরেই বিষন্নতায় ভুগছিলাম আমি।" রেডিটে মি.আলি'র করা পোস্ট কিন্তু আলি চিন্তাও করেননি যে সুপারস্টার শোয়ার্জনেগার তার মেসেজের উত্তর দিবেন। মেসেজের উত্তরে শোয়ার্জনেগার আলিকে 'ছোট ছোট ধাপে' সমস্যা সমাধান করার উপদেশ দেন। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের বড় ভক্ত আলি বলেন, "মেসেজ পাওয়ার পর লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নেমে আমার প্রথম চিন্তা ছিল কত তাড়াতাড়ি জিমে যেতে পারবো। মেসেজটি দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে আমাকে।" আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার সামাজিক মাধ্যম রেডিট'এ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আরও পড়তে পারেন: নারীদের ফেসবুক গ্রুপ: যেখানে একে অপরের সহায়ক ‘আমি ওভারব্রিজে দাঁড়িয়েছিলাম ঝাঁপ দেবো বলে’ সহিংসতার ঘটনায় মানসিক সমস্যায় শিক্ষার্থীরা জাপানে কাজের চাপে মারা যাচ্ছে কর্মচারীরা মি. আলি'র পোস্টের উত্তরে করা আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের পোস্ট রেডিটে ৭০ হাজার 'আপভোট' পায় এই কথোপকথন। আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সাথে মি. আলি'র এই মেসেজ আদান প্রদানে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই তাদের নিজেদের বিষন্নতার গল্প প্রকাশ করেন। মি. শোয়ার্জনেগারের মেসেজে উদ্বুদ্ধ হয়ে মি. আলি অনেককেই সাহস দেয়ার চেষ্টা করেছেন মেসেজ করে। অধিকাংশ মানুষ এই মেসেজ আদান প্রদানের বিষয়টিকে ভালভাবে নিলেও কয়েকজন এর সমালোচনা করেছেন এই বলে যে বিষন্নতার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান মেসেজের মাধ্যমে হয় না। "আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের কাছ থেকে একটি মেসেজ পাওয়া অত্যন্ত অনুপ্রেরণার একটি বিষয় এবং ঐ মেসেজ পেয়ে জিমে যাওয়ার জন্য আমি দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ হই", বলে এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন আলি। মি. আলি আরো বলেন, "বিষন্নতার মত সমস্যা অবশ্যই এত সহজে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাকে হতাশা থেকে বের করার জন্য যে ধাক্কাটা দরকার ছিল, তা ঐ মেসেজ থেকে পেয়েছি আমি।" রেডিট'এ মি. আলি ও অন্যান্যদের এই কথোপকথন পর্যবেক্ষণ করে মি শোয়ার্জনেগার একটি ভিডিও মেসেজ পোস্ট করেন, যেই ভিডিওটি একটি জিমে রেকর্ড করা হয়। ভিডিওতে মি. শোয়ার্জনেগার বলেন, "আলি যেভাবে বিষন্নতায় ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের উৎসাহ ও সাহস দিচ্ছেন তা দেখে আমি গর্বিত।" বিখ্যাত সিনেমা 'টার্মিনেটর টু' এর দারুণ জনপ্রিয় উক্তি 'আস্তা লা ভিস্তা' বলে ভিডিও শেষ করেন তিনি। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কম খরচে সুখী হওয়ার নয়টি উপায় যে কারণে নিজের সন্তানকে অপহরণ করেছেন ব্রিটিশ এক নারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ছোট দলগুলোর বড় শর্ত | A social media exchange between Arnold Schwarzenegger and a man suffering with depression has moved many online to share their stories. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | গত এক বছরে এতো বড়ো হামলা হয়নি। বালুচিস্তান প্রদেশে কোয়েটার কাছে মাসতুং শহরে চালানো এই হামলায় প্রাদেশিক নির্বাচনের একজন প্রার্থীও প্রাণ হারিয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো বহু মানুষ। শুক্রবার দিনের আরো আগের দিকে উত্তরাঞ্চলীয় বান্নু শহরে আরেকটি নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলায় চারজন নিহত হয়। আাগামী ২৫শে জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে আরো সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে। গত মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় পেশাওয়ার শহরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হয়। পাকিস্তানি তালেবান সবশেষ এই হামলার কৃতিত্ব দাবি করেছে। মাসতুং-এ শুক্রবারের হামলায় যতো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, পাকিস্তানে গত এক বছরেরও বেশি সময়েও, একক কোন হামলায় এতো ব্যাপক সংখ্যক মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বালুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের একজন প্রার্থী সিরাজ রাইসানি। তিনি বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টির একজন প্রার্থী ছিলেন। ইসলামাবাদ থেকে বিবিসির সাংবাদিক এম ইলিয়াস খান বলছেন, সবশেষ এই হামলার ঘটনাটি পাকিস্তানে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। তিনি বলেন, সোনাবাহিনী একদিকে যেমন দাবি করছে যে তারা জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি এরকম একটি হামলার ব্যাপারে কাছ থেকে কোন হুমকিও ছিল না। এর আগে, ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে জঙ্গিরা আগাম হুমকি দিয়েছিল। ফলে তখন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল খুব কমই প্রচারণা চালিয়েছিল। তিনি বলছেন, ওই দলগুলোই আবার আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। আর আক্রমণকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এসব দল যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে না পারে। মি. খান বলছেন, সবশেষ এই হামলার পর নির্বাচনের আগে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। নওয়াজ শরীফ আটক এসব হামলার ঘটনাই ঘটেছে দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সাজা হওয়ার পর। শুক্রবারের সব শেষ হামলাও হয়েছে লন্ডন থেকে মি. শরীফের লাহোরে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। আরো পড়তে পারেন: ক্রোয়েশিয়া: যে পাঁচটি তথ্য হয়তো জানা নেই লন্ডনে কেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বিশ্বকাপ ২০১৮: কেন কানটে ফ্রান্সের নেপথ্য নায়ক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দেশে ফেরা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে আরেক উত্তেজনা। তাকে স্বাগত জানাতে গিয়ে বিক্ষোভ করলে তার বহু সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শহরে নামার পর গ্রেফতার করা হয়েছে নওয়াজ শরীফকেও। তার আগে আবুধাবীতে মি. শরীফ বিবিসিকে বলেন, আগামী নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ সরকার বিরোধীদের উপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। তার সাথে ছিলেন কন্যা মরিয়মও। তাকেও পুলিশ আটক করেছে। তিনিও কারাদণ্ডে দণ্ডিত। আদালত যখন তাদেরকে সাজা দেয়, তারা দুজনেই তখন লন্ডনে ছিলেন। লন্ডনে মি. শরীফের স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। | A suicide bomber has killed at least 128 people at a campaign rally in south-western Pakistan - the deadliest attack in the country since 2014. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | পাকিস্তানে যাওয়ার আগে হামিদ আনসারি। হামিদ আনসারি নামের সে ব্যক্তিকে পাকিস্তানের ভুয়া পরিচয়পত্র সহ আটক করার পর কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু তাঁর পরিচিত ব্যক্তিরা বলছেন, মি: আনসারি পাকিস্তানে এক নারীর প্রেমের টানে সে দেশে ছুটে গিয়েছিলেন। সে নারীর সাথে হামিদ আনসারির অনলাইনে পরিচয় হয়েছিল। তবে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যাবার পর দুজনের মধ্যে দেখা হয়েছিল কি না সেটি পরিষ্কারভাবে জানা যাচ্ছে না। ভারতে আসার পর ওয়াগা সীমান্তে মি: আনসারিকে গ্রহণ করে তাঁর পরিবার। সেখানে তখন সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরাও ছিলেন। তাঁর পরিবার গত এক বছর ধরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। যদিও ২০১৫ সালে মি: আনসারির কারাদণ্ড দেয়া হয়, কিন্তু তিনি ২০১২ সাল থেকেই পাকিস্তানের কারাগারে আটক ছিলেন। গত রবিবার তাঁর কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে আরো কয়েকদিন সময় লেগেছে। হামিদ আনসারি পরিচয় কী? মুম্বাই কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল ফৌজিয়া আনসারি এবং ব্যাংকার নিহাল আনসারির ছোট ছেলে হামিদ আনসারি। ২০১২ সালে ৩৩ বছর বয়সী হামিদ আনসারি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তখন তিনি পরিবারকে জানান যে একটি বিমান সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য তিনি আফগানিস্তানে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার সীমান্তে পরিবারের সাথে একত্রিত হলেন হামিদ আনসারি। কিন্তু আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছানোর কয়েকদিন পরেই নিখোঁজ হয়ে যায় হামিদ আনসারি। তিনি পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ রাখেন। এরপর বাড়িতে থাকা মি: আনসারির কম্পিউটার থেকে তার পরিবার জানতে পারে যে ইমেইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মি: আনসারি পাকিস্তানের কয়েকজন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন। তারপর মি: আনসারির বাবা-মা বুঝতে পারেন যে তিনি পাকিস্তানের খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশে অবস্থান করছেন। কেন তিনি পাকিস্তান গিয়েছিলেন? হামিদ আনসারি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ছয় মাস আগে মুম্বাই-এর মানবাধিকার কর্মী জিতেন দেশাই-এর সাথে দেখা করেন। তখন তিনি পাকিস্তানের ভিসা পাওয়ার জন্য মি: দেশাই-এর সহায়তা চান। মি: আনসারি বলেন যে তিনি পাকিস্তানের খাইবার পাকতুনখাওয়া প্রদেশের এক নারীকে বিয়ে করতে চান যার সাথে তাঁর অনলাইনের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছে। মি: দেশাই মুম্বাই মিরর পত্রিকাকে বলেন, "একথা শুনে আমি ভীষণ হেসেছিলাম। যেখানে পরিবারের সম্মান বাঁচানোর জন্য নারীদের হত্যা করা হয় সেখানকার মেয়েকে বিয়ে করতে চায় সে। আমি তাকে বলেছিলাম এসব পাগলামি বাদ দিয়ে ক্যারিয়ারে মনোযোগ দেবার জন্য।" কিন্তু পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মি: আনসারি। হামিদ আনসারির মুক্তির জন্য তার বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেছেন। তিনি তখন পাকিস্তানের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা বলে যে আফগানিস্তান থেকে সহজে পাকিস্তানে ঢোকা যাবে। তারপর আফগানিস্তানে গিয়ে হামজা নাম দিয়ে পাকিস্তানের ভুয়া পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সেখানে প্রবেশ করেন মি: আনসারি। পরবর্তীতে কাগজপত্রে দেখা যায় যে একটি হোটেল থেকে মি: আনসারিকে আটক করা হয়। তাঁর মুক্তি কিভাবে হলো? মি: আনসারির পরিবার যখন পাকিস্তানে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছিলেন না তখন তারা সরকারী কর্মকর্তা এবং মানবাধিকার কর্মীদের সাহায্য নেন। এদেরে মধ্যে একজন হলেন মি: দেশাই, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের নাগরিকদের পরস্পরের কারাগার থেকে মুক্ত করার কাজ করে আসছেন। পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক হামিদ আনসারির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের পক্ষ হয়ে আদালতে একটি নিখোঁজ পিটিশন দায়ের করেন। হামিদ আনসারির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে সেই সাংবাদিক পাকিস্তান সরকারকে উৎসাহিত করেন। ফলে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো স্বীকার করে যে মি: আনসারিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং সে কারাগারে আটক আছে। গত ছয় বছরে মি: আনসারির সাথে ভারতের কোন কর্মকর্তাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। তাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টিকে পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের একটি মানবিক কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে। | An Indian woman stranded in Pakistan for a decade has returned to India. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | চিন্তায় চুল পেকে যায় কেন? ইঁদুরের ওপর চালানো এক পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যেসব স্টেম সেল গায়ের এবং চুলের রং নিয়ন্ত্রণ করে তীব্র ব্যথা থেকে উদ্ভূত চাপে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইভাবে দেখা গেছে, মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে গাঢ় রঙ এর ইঁদুরের গায়ের সমস্ত লোম পেকে সাদা হয়ে গেছে। ব্রাজিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গবেষণার ফলাফল ধরে সামনের দিনে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুলের রঙ বদলে যাওয়া ঠেকানোর ওষুধ আবিষ্কার সহজ হতে পারে। ত্রিশ বছরের পর নারী পুরুষ যে কারেই চুল সাদা হতে শুরু করতে পারে, যদিও স্বাভাবিকভাবে বয়স বাড়ার লক্ষণ হিসেবে চুলের রং পরিবর্তন হয়। মাত্র দুই সপ্তাহে ইঁদুরের লোমের রং পরিবর্তন হয়ে গেছে তার সাথে জিনের মানে বংশের লোকের চুল পাকার ধরণ ও সময়ের একটা সম্পর্ক থাকে। তবে, মানসিক চাপে যে চুল পেকে সাদা হয়ে যায়, এ কথা বহুকাল ধরেই প্রচলিত আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এতদিন জানতেন না, ঠিক কিভাবে সেটা হয়। সাও পাওলো ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভাড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে মেলানোসাইট স্টেম সেল সম্পর্কিত, যেটি মেলানিন উৎপাদন করে। মেলানিনের মাত্রার হেরফেরের কারণে চুল ও গায়ের রঙ এর ফারাক হয় মানুষের। নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় হার্ভাডের বিজ্ঞানী অধ্যা ইয়া-সিয়ে সু জানিয়েছেন, "আমরা এখন নিশ্চিত যে মানসিক চাপের কারণে মানুষের চুল অকালে পেকে যেতে পারে এবং সেটা কিভাবে হয়, এখন আমরা তা জানি।" স্থায়ী ক্ষতি গবেষকেরা বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষার জন্য ইঁদুরের শরীরে তীব্র যন্ত্রণা সৃষ্টির মাধ্যমে এই পরীক্ষা চালিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল নিঃসরণ হয়, হৃদপিণ্ডের গতি ও রক্তের চাপ বেড়ে যায়, এবং তাদের নার্ভাস সিস্টেমে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এবং চূড়ান্তভাবে এর ফলে ইঁদুরের মধ্যে ব্যাপক চাপ তৈরি হয়। ক্রমে এই প্রক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেয়া হয় এবং দেখা যায় চুলের ফলিকলে থাকা মেলানিনে আঘাত করতে শুরু করে এই প্রক্রিয়া। "আমি ধারণা করেছিলাম স্ট্রেস বা মানসিক চাপ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু আমাদের ফলাফলে আমরা যা দেখেছি তা কল্পনারও বাইরে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পিগমেন্ট-পুনঃরুৎপাদনকারী স্টেম সেলগুলো সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে যায়। এবং এর পর আর আপনার পিগমেন্ট তৈরি হবে না। ফলে ক্ষতিটা স্থায়ী।" আরেক পরীক্ষায় গবেষকেরা দেখেছেন, কিছু ইঁদুরের লোমের রং পরিবর্তন থামিয়ে দেয়া হয়েছিল, তাদেরকে অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ দেবার মাধ্যমে যা তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। চুল পড়া বন্ধ করবেন কীভাবে? এবং শারীরিক যন্ত্রণায় থাকা ইঁদুরের সঙ্গে এই চাপমুক্ত ইঁদুরের অবস্থা তুলনা করতে গিয়ে দেখা যায় তাদের স্টেম সেল ক্ষতিগ্রস্ত হবার পেছনে এক ধরণের প্রোটিন দায়ী। সাইক্লিন-ডিপেন্ডেন্ট কিনাস সিডিকে নামে এই প্রোটিনকে যখন দমন করা হয়, তখন ইঁদুরের লোমের রং বদল থেমে যায়। আর এর মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন কিভাবে চুলের রং পরিবর্তন ঠেকানো যাবে, অর্থাৎ ওষুধ তৈরির সময় এই সিডিকে নামে এই প্রোটিনকে নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায় রেখেই সেটা করতে হবে। আর একে চুল পাকা ঠেকানোর পথ পেয়ে যাওয়া ভাবছেন না অধ্যাপক সু। তিনি বলছেন, "এটি মানুষের ওপর পরীক্ষা করা শুরুর প্রক্রিয়া আরম্ভ করবে মাত্র। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অংশের চুলও কেন পাকে সেটাও বুঝতে পারছি আমরা।" আরো খবর: অং সান সু চিকে আদালতে নিয়ে গেছেন যে ব্যক্তি | Scientists say they may have discovered why stress makes hair turn white, and a potential way of stopping it happening without reaching for the dye (Readers may find some of the details distressing). |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া কিছু শরণার্থী গ্রিসের কাস্তানিস সীমান্তে গিয়ে পৌঁছেছে। তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলছেন, 'ইউরোপে যাওয়ার দরজা খুলে দেওয়ার পর ১৮,০০০ অভিবাসী সীমান্ত পার হয়ে ইউরোপে চলে গেছে। তিনি বলেন, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যারা শরণার্থী হয়েছেন তুরস্ক তাদেরকে আর জায়গা দিতে পারছে না। তুরস্কের যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা বলেছেন, লাখ লাখ সিরিয় শরণার্থীকে তাদের দেশে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে দেশটি যথেষ্ট সহযোগিতা পায় নি। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কী সৈন্যদের ওপর সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর রক্তক্ষয়ী এক হামলার পর তুরস্ক তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। ইদলিব প্রদেশে চালানো ওই হামলায় তুরস্কের কমপক্ষে ৩৩ জন সৈন্য নিহত হয়। হামলার পর সিরিয়ার মিত্র দেশ রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই সংঘাত আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। তুরস্কের এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী দুটো দেশ গ্রিস ও বুলগেরিয়া সীমান্তে লোকবল মোতায়েন করেছে - যাতে শরণার্থী ও অভিবাসীরা এই দুটো দেশে ঢুকতে না পারে। কোন কোন খবরে বলা হচ্ছে, তাদেরকে ঠেকাতে গ্রিসের পুলিশ কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করছে। Migrants head for Turkey's EU borders কেন তুরস্কের এই সিদ্ধান্ত তুরস্কে এখনও পর্যন্ত ৩৭ লাখ শরণার্থী ও অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই সিরিয়ার। এছাড়াও আফগানিস্তান থেকে আসা অনেককেও তুরস্কে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই শরণার্থী ও অভিবাসীরা যাতে ইউরোপে যেতে না পারে সেজন্য ই.ইউর সাথে করা এক সমঝোতার আওতায় তুরস্ক কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল। এজন্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তুরস্ককে কিছু অর্থ সাহায্যও দিয়েছিল। তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে শরণার্থীরা পায়ে হেঁটে গ্রিস সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গ্রিসের লেসবস দ্বীপে পৌঁছাতে অনেককে তুরস্কের আরো দক্ষিণ থেকে নৌকায় উঠতেও দেখা গেছে। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিটসোটাকিস বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় "উল্লেখযোগ্য সংখ্যক" অভিবাসী জড়ো হয়েছে তবে কোন "অবৈধ অভিবাসীকে গ্রিসে কোনভাবেই ঢুকতে দেওয়া হবে না।" তিনি বলেছেন, তাদের রুখতে স্থল ও জল সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে। আফগান অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা শুক্রবার গ্রিসের লেসবস দ্বীপে গিয়ে পৌঁছেছে। তুরস্কে যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক ফাহরেতিন আলতুন বলেছেন, অভিবাসীরা এখন শুধু তুরস্কের জন্যে নয়, ইউরোপ ও বিশ্বেরও সমস্যা। তিনি বলেন, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা ছাড়া তুরস্কের হাতে "আর কোন উপায় নেই।" এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তুরস্ক ইউরোপের দেশগুলোর কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পায় নি। এর আগে তিনি বলেছেন, ইদলিবের যুদ্ধে নতুন করে যে দশ লাখ শরণার্থী তৈরি হয়েছে তুরস্কের ক্ষমতা নেই তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার। তাদেরকে রক্ষা করার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "সেখানে উড়ান নিষিদ্ধ করে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।" আরো পড়তে পারেন: তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে 'সর্বাত্মক যুদ্ধের আশংকা' যুদ্ধবিরতি সমঝোতার পরও সিরিয়ায় হামলা ডিসেম্বর মাসের পর থেকে ইদলিবে অন্তত ৪৬৫ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪৫ জন শিশু। জাতিসংঘ বলছে, এদের বেশিরভাগই সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্রদের হামলায় নিহত হয়েছে। ইদলিবে হামলা ইদলিব সিরিয়ার একমাত্র প্রদেশ যেখানে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরোধী বিদ্রোহীরা এখনও কিছু অংশ দখল করে আছে। রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সৈন্যরা বিভিন্ন জিহাদি গ্রুপ ও তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপের কাছ থেকে এই এলাকা পুনর্দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইদলিবে অনেকগুলো সিরিয়ান বিদ্রোহী গোষ্ঠী ঘাঁটি গেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কী করা যায় সেটা খুঁজে বের করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, "এর ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামরিক সংঘাত শুরু হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।" এবিষয়ে শুক্রবার তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তারা দুজনেই একমত হয়েছেন। মস্কো আরো বলেছে যে এবিষয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন। নেটোর মহাসচিব জেনারেল ইয়েন্স জলটেনবার্গ বলেছেন, তুরস্ককে আরো বেশি রাজনৈতিক ও বাস্তবসম্মত সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। আরো পড়তে পারেন: দিল্লির দাঙ্গার মূলে কি নাগরিকত্ব আইন, নাকি সাম্প্রদায়িক হিংসা? দিল্লিতে মুসলমান নারীদের বর্ণনায় ককটেল আর আগুনের ভয়াবহতা বিবিসি জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ১৮নম্বরে অতীশ দীপঙ্কর | Groups of refugees and migrants are heading towards the EU after Turkey said it would not abide by a deal to stop them reaching Europe. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | এরতুগ্রুলকে অনেকে আখ্যায়িত করেছে মুসলিম গেম অফ থ্রোনস নামে অনুষ্ঠানটির সাড়া জাগানো জনপ্রিয়তা অবশ্য পাকিস্তানে বিপরীতধর্মী মতেরও জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে এই নাটক নিয়ে লেখা হচ্ছে, চলছে আলোচনা। কেউ কেউ মনে করছেন স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য এটা একটা হুমকি এবং সমাজে এটা সহিংসতার জন্ম দেবে। অপর পক্ষ মুসলিমদের এই বীরত্ব গাথায় রীতিমত উদ্বুদ্ধ। এই নাটক নিয়ে এই মুহূর্তে পাকিস্তানে শুধু তারকা আর বিশ্লেষকরাই মন্তব্য করছেন না, এই বিতর্কে সক্রিয়ভাবে সোচ্চার হয়েছেন দেশের রাজনীতিকরাও। পাকিস্তানে এই প্রথম, যে কোন তুর্কি নাটক জনপ্রিয় হল তা নয়। কিন্তু এরতুগ্রুল - যাকে অনেকেই অভিহিত করে থাকে 'মুসলিম গেম অফ থ্রোনস্' নামে - এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী। এই নাটকের পেছনে সরাসরি সমর্থন রয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ধারণা করা হচ্ছে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক কারণে তিনি এই নাটকটির সম্প্রচারে বিশেষ মদত দিচ্ছেন। 'ইসলামভীতি'র বিরুদ্ধে অস্ত্র? এই বিদেশি সিরিয়াল পাকিস্তানে যে জনপ্রিয়তার জোয়ার এনেছে সম্ভবত তার পেছনে মূল কারণ মি. খানের ব্যক্তিগত উৎসাহ। তিনি নিজে যে শুধু এই নাটকটি দেখানোর সুপারিশ করেছেন এবং পিটিভিকে এটা সম্প্রচার করতে বলেছেন তাই নয়, তিনি বলেছেন ইসলামী সভ্যতার গুরুত্ব বুঝতে পাকিস্তানের মানুষকে সাহায্য করবে এই নাটক। তার এই মন্তব্যের পর থেকেই পাকিস্তানে এই নাটক দেখতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে এবং এটা ভিউয়ারশিপের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ঊর্দুতে ভাষান্তর করা সিরিয়াল নাটকের নাম দেয়া হয়েছে এরতুগ্রুল ঘাজি - যোদ্ধা এরতুগ্রুল। সমালোচকরা বলছেন ইমরান খান এই সিরিয়ালে মদত দিচ্ছেন কারণ তিনি সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ তুলে ধরতে চান এবং তিনি মনে করছেন পাকিস্তানে একটা আদর্শ ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় তার লক্ষ্য পূরণে এই সিরিয়াল সাহায্য করবে। তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করার পর থেকে বলে আসছেন যে, "আমি এমন একটা পাকিস্তান গড়ে তুলতে চাই, যেটা হবে মদিনায় নবীর সৃষ্ট প্রথম মুসলিম সমাজের আদর্শে অনুপ্রাণিত।" কিন্তু অনেকে মনে করছেন এখানে মি. খানের বক্তিগত আগ্রহই শুধু জড়িত নেই। দেশটির শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডন লিখছে "এর মূল কারণ সম্ভবত নিহিত রয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান ও সেসময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের আলাদা এক বৈঠকের মধ্যে।" সেপ্টেম্বর ২০১৯এর ওই বৈঠকে মি. খান, মি. এরদোয়ান আর মি. মাহাথির যৌথ উদ্যোগে একটি টিভি চ্যানেল চালু করার আইডিয়া নিয়ে কথাবার্তা বলেন, যে চ্যানেল তারা চাইছিলেন ক্রমশ বেড়ে ওঠা ইসলামভীতি ও ইসলাম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে মত তৈরি করবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: পাকিস্তানে যেভাবে সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে নতুন নিষেধাজ্ঞার কবলে পাকিস্তানের গণমাধ্যম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বহু রূপ কেউ কেউ মনে করে এরতুগ্রুল নাটকের সম্প্রচারে মি. খানের উৎসাহের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে নভেম্বর ২০১৬য় মি. এরদোয়ান তুরস্কে এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই সিরিয়াল নাটকের প্রশংসা করে বলেছিলেন এটি "জাতির হৃদয় জয় করেছে"। পাকিস্তানে এই সিরিয়ালের বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনের মাধ্যমে "মি. খানও সম্ভবত তুরস্কে রাজনৈতিক পয়েন্ট অর্জন করতে চাইছেন। পাকিস্তান তুরস্কের সাথে তাদের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চাইছে,"এক নিবন্ধে লিখছে পাকিস্তানের দ্য ডিপ্লোম্যাট সাময়িকী। তবে খোলাখুলিভাবে এই সিরিয়ালের প্রতি তার সমর্থন দেখিয়ে দেশের ভেতর কিছু সমালোচনাও কুড়িয়েছেন মি. খান। ডন পত্রিকা এক খবরে জানায়, বিরোধী রাজনীতিক মুশতাক আহমদ খান সম্প্রতি সংসদে বলেছেন: " (মি. খান) আপনি এরতুগ্রুল নাটক সম্প্রচার করে এখানে মদিনা গড়ে তুলতে পারবেন না"। মুসলিম মূল্যবোধ 'সঠিকভাবে জাগ্রত' এই সিরিয়াল নাটকে ১৩শ শতকের মুসলিম ওঘাজ তুর্কি শাসক এরতুগ্রুলের জীবন কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। মনে করা হয় তার পুত্র ওসমান ঘাজি ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। এতে মোঙ্গল দখলদার, ক্রিশ্চান, বাইজেন্টাইন এবং আনাতোলিয়ার নাইট টেম্পলারের বিরুদ্ধে মুসলিম ওঘাজ তুর্কি বীরদের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানে নয়া দাউর-এর মত কিছু মিডিয়া ওয়েবসাইট বলছে এই নাটক "অটোমান সাম্রাজ্য এবং মুসলিম মূল্যবোধকে উজ্জীবিত করেছে" স্থানীয় একটি জনপ্রিয় দৈনিক দ্য নেশন-এর এক নিবন্ধেও লেখা হয়েছে এই নাটক "মুসলিম বীর, ইসলামের ইতিহাস এবং আদর্শকে সঠিক আলোকে তুলে ধরেছে"। টিভি সিরিয়াল এবং চলচ্চিত্রগুলোতে মুসলিমদের একটা "নেতিবাচক আলোকে দেখানো হয়", আর সে কারণে এই সিরিয়াল একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে যেটা মানুষ পছন্দ করছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। "মুসলিমরা সবসময় চেয়েছে বিশ্বের মিডিয়াতে মুসলমানদের একটা ইতিবাচক ও শক্তিশালী দিকগুলো সামনে আনা হোক। ডিরিলিস এরতুগ্রুল তাদের সেই দীর্ঘদিনের চাওয়াকে মিটিয়েছে- মুসলিমদের বীরত্বের জয়গান এই সিরিয়াল," এক নিবন্ধে লিখেছে ইংরেজি ভাষার ওয়েবসাইট দ্য গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস। সাংবাদিক আমনা হায়দার ইশানি, দ্য নিউজ ডেইলিতে লিখেছেন- এই টিভি অনুষ্ঠান "বিশ্বে ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে"। তবে পারভেজ হুদভয়ের মত অ্যাকটিভিস্টের এ ব্যাপার দ্বিমত রয়েছে। "এর (এরতুগ্রুল) উদ্দেশ্য যদি হয় ইসলামকে শান্তি ধর্ম হিসাবে তুলে ধরা এবং ইসলামভীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাহলে আমার মতে এই নাটক সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে," ডন পত্রিকায় এক নিবন্ধে নাটকে যে ভয়ঙ্কর সহিংসতা ও শিরশ্ছেদের দৃশ্য দেখানো হয়েছে তার উল্লেখ করে তিনি এই মন্তব্য করেন। আবার সমাজবাদী কর্মী একাধারে রাজনীতিকও জিবরান নাসিরের মত হল এই ধারাবাহিক সিরিয়াল পাকিস্তানিদের মধ্যে "পরিচয়ের সংকট" তৈরি করছে। পিটিভি চ্যানেলে এরতুগ্রুল দেখছে ইসলামাবাদের একটি পরিবার পাকিস্তানে এই সিরিয়াল নাটকের বিপুল জনপ্রিয়তার কথা তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলোতেও আলোচিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সি ২৪শে মে পাকিস্তানে স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে লিখেছে দেশটির জনগণ এই নাটককে ভালবেসে "ইসলামের পতাকা উঁচুতে তুলে ধরছে" এবং দেখছে "একজন মুসলিম শাসকের কেমন হওয়া উচিত"। 'নিষ্প্রাণ ঘরোয়া বিষয়' কেউ কেউ বলছে পাকিস্তানের টিভি সিরিয়ালগুলোতে ভাল বিষয়ের অভাব বিদেশি নাটকগুলোর বিপুল জনপ্রিয়তার পেছনে অন্যতম একটা কারণ। দ্য গ্লোবাল ভিলেজ স্পেস পাকিস্তানের টু্ইট ব্যবহারকারীদের মন্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখছে এদের অনেকেই মনে করছে "পাকিস্তানি সিরিয়ালগুলোয় গৎবাঁধা নিষ্প্রাণ ঘরোয়া যেসব কাহিনি দেখানো হয়, তার পাশে এরতুগ্রুল একটা অভিনব বিনোদন।" "এটা খুবই পরিষ্কার যে পাকিস্তানে অসংখ্য টিভি চ্যানেল আছে কিন্তু মানসম্মত অনুষ্ঠান দেয়া হচ্ছে না," দ্য নিউজের এক নিবন্ধ লিখছে। পাকিস্তানে টিভি বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম, কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধ তুলে ধরার রেওয়াজ টিভি চ্যানেলগুলোতে সেভাবে নেই। যদিও "আলিফ" নামে একটি অনুষ্ঠান আছে যেখানে ইসলামী মূল্যবোধকে ফোকাস করে অনুষ্ঠান হয়। তুরস্কের এই টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা পাকিস্তানি প্রযোজকদের ভাবাচ্ছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফোয়াদ চৌধুরি সহ অনেকেই আশংকা করছেন এভাবে চলতে থাকলে বিদেশি অনুষ্ঠান দেশের বিনোদন জগতকে গ্রাস করেবে এবং স্থানীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে এই সিরিয়াল এরতুগ্রুল দেশটিতে যে তুমুল বিতর্ক উস্কে দিয়েছে, সাংবাদিক ইশানি আশা করছেন তার ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানে স্থানীয়ভাবে আরও ভাল অনুষ্ঠান তৈরি করতে প্রযোজকরা উদ্বুদ্ধ হবেন। । | The Turkish historical TV drama Dirilis Ertugrul (Ertugrul's Resurrection) has been all the rage in Pakistan since the state broadcaster began airing a dubbed version in April. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | 'আমরা তাদের উপর এমন অবরোধ আরোপ করবো যা আগে কখনো দেখেনি তারা' - ডোনাল্ড ট্রাম্প 'আমাদের খুবই ব্যয়বহুল একটি বিমানঘাঁটি সেখানে আছে। এটা বানাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এটার ক্ষতিপূরণ যতক্ষণ না দিচ্ছে তারা, ততক্ষণ আমরা সেখান থেকে যাচ্ছি না', সাংবাদিকদের বলেন মি. ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে বাগদাদ সফররত ইরানী জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার পর থেকেই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইরান 'চরম প্রতিশোধ' নেবার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছে। ৬২ বছর বয়স্ক সোলেইমানি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানী সামরিক কর্মসূচীর প্রধান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের চোখে তিনি ছিলেন সন্ত্রাসী। নিহত জেনারেলের মৃতদেহ ইরানে নেবার পর সেখানে কয়েকদিনব্যাপী শেষকৃত্য চলছে। সোমবার সকালে তেহরানের রাস্তায় বহু মানুষ নেমে আসে শোক প্রকাশ করবার জন্য। সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে মনে করা হতো নিহত জেনারেল সোলেইমানির নেতৃত্বাধীন কুদস ফোর্সের নতুন প্রধান মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বহিষ্কার করার শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বেতারে এসমাইল কানি বলেন, "আমরা শহীদ সোলেইমানির দেখানো পথে সমান শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি...এবং আমাদের জন্য একমাত্র ক্ষতিপূরণ হবে এই অঞ্চল থেকে আমেরিকার অপসারণ"। কী ধরণের অবরোধের হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প? প্রেসিডেন্সিয়াল প্লেনে বসে মি. ট্রাম্প বলেন, ইরাক যদি সেখান থেকে শত্রুতামূলকভাবে মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে বলে, "তাহলে আমরা তাদের উপর এমন অবরোধ আরোপ করবো যা আগে কখনো দেখেনি তারা। এই অবরোধের কাছে ইরানের উপর আরোপ করা অবরোধকে ম্লান বলে মনে হবে"। কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৈরি করা আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনের অংশ হিসেবে ৫ হাজার আমেরিকান সৈন্য এখন ইরাকে রয়েছে। রবিবার ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিরতি টানে কোয়ালিশন। একই দিনে ইরাকি এমপিরা পার্লামেন্টে একটি রেজোল্যুশন পাশ করে, যেখানে বিদেশি সৈন্যদের ইরাক ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। আরো খবর: ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লিতে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপরে মুখোশধারীদের হামলা চুল শুকানোর যন্ত্র দিয়ে পিচ শুকানোর চেষ্টা বিমানের মুনাফা: দেনা শোধ না করে লাভ কতটা যৌক্তিক? | President Trump has threatened severe sanctions against Iraq after its parliament called on US troops to leave the country. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | এর মধ্যে এমন সফটওয়্যার আছে যা পরবর্তীতে ব্রিটেন কিংবা তার বন্ধু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যায়। বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালী এলাকার একটি দুবাই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই অগ্রগতির একটি অন্ধকার দিক রয়েছে। দেশটির মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে সুপরিচিত একজন আহমেদ মানসুর, যিনি আরব আমিরাতের সরকারের নির্যাতনের বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতেন। "কেউ আপনাকে গোপনে দেখছে এই অনুভুতি ভয়ংকর। আপনি নিজের স্বাধীনতা হারাবেন। এটা একজনের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লংঘন।এটা অনেকটা আপনার বেডরুমে একজন অচেনা মানুষের ঢুকে যাওয়ার মতোই"-বলেছিলেন আহমেদ মানসুর। তার সাথে বিবিসির সাংবাদিকের সাক্ষাতের কয়েক মাস পরে তিনি নিখোঁজ হন। তারও কয়েক সপ্তাহ পর তার পরিবার জানতে পারে যে আবুধাবির কারাগারে সে আটক আছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে তার অপরাধ সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে তিনি মিথ্যা এবং বিভ্যান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। কিন্তু বিবিসি রিপোর্টার দেখতে পেয়েছেন সরকার এক্ষেত্রে মি:আহমেদের ব্যক্তিগত যোগাযোগও গোপনে মনিটর করা হতো। প্রকৃতপক্ষে সব মানুষেরই ব্যক্তিগত তথ্য যে কোনো সময় মনিটর করার ক্ষমতা রয়েছে দেশটির। আরব আমিরাত উন্নত প্রযুক্তির স্পর্শকতার নজরদারির সিস্টেম নিয়ে এসেছে যার মাধ্যমে এর নাগরিকেদর সব ধরনের যোগাযোগ মনিটর করা সম্ভব এবং বছরের পর বছর তা রাখা যায়। বি.এ.ই ব্রিটেনের অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রযুক্তি উৎপাদন কোম্পানি। লন্ডনে এর সদরদপ্তর এবং অনেক দেশেই এর কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। ডেনমার্কে তাদের প্রতিষ্ঠানে দুজন কর্মীর সাথে আলাপ হয় বিবিসির সাংবাদিকের। কিন্তু কী উৎপাদন করা হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো রকম তথ্য দিতে রাজি হলেন না। এটাই তাদের নীতি বলেও জানালেন তারা। ২০১১ সালে সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ইটিআই প্রায় ১৩৭ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে কিনে নেয় বি.এ,ই সিস্টেমস তবে বি.এ.ই সিস্টেমের সাথে অতীতে কাজ করেছেন এমন একজনের সাথে কথা বলতে পারে বিবিসি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বিবিসিকে জানান কীভাবে ওই সিস্টেম কাজ করে। "আপনি ইন্টারনেটে যেকোনও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। পুরো দেশেই সেটি করা সম্ভব। সেলুলার ডাটার ওপর ভিত্তি করে লোকজনের অবস্থান শনাক্ত করা যায়। যেকোনো স্থানে যেকোনও মানুষের গতিবিধি অনুসরণ করতে পারবেন"। সমালোচকরা যুক্তি দিচ্ছেন যে ব্রিটেন এবং বি.এ.ই-কোম্পানির উচিত নয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাইবার নজরদারি যন্ত্রপাতি নিপীড়নকারী দেশগুলোর কাছে বিক্রি করা উচিত নয়। এর মধ্য দিয়ে সত্যিকারেই অপরাধীদের শনাক্ত করা এভং সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের তথ্য পাওয়া কতটা সম্ভব সেটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন অনেকেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত দশকজুড়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধে এটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বি.এ.ই সিস্টেমের সাথে ব্রিটেনের সরকারের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। গত বছর প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বি.এ.ই যন্ত্রাংশ কেনার জন্য। কেবলমাত্র আরব আমিরাতেই নয়, মারাত্মক দমন-পীড়নের অভিযোগ আছে এমন আরো দেশে বিক্রি করা হচ্ছে এ সমস্ত সরঞ্জাম। যার মধ্যে আছে সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আলজেরিয়া এবং মরক্কো। আরো পড়তে পারেন: পাকিস্তানের কাছে হারের পর ভারতীয় ক্রিকেটে অন্তর্দ্বন্দ্ব লন্ডনে মসজিদের কাছে সন্ত্রাসী হামলা: যা জানা যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সাইবার অপরাধ আইন কঠোর করেছে ২০১১ সালের পর থেকে। 'শ্যাডো ওয়ার্ল্ড: ইনসাইড দ্য গ্লোবাল আর্মস ট্রেড' এর লেখক অ্যান্ড্রু ফেইনস্টেইন বলেন "ব্রিটিশ অস্ত্র রপ্তানি আইনের দিকে যদি তাথাকান, সব ধরনের সামরিক সরঞ্জামই তার আওতাভুক্ত এবং এর সাথে ট্রেনিংও রয়েছে"। "আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকলে সেখানে কোনও ধরনের রপ্তানি নিবন্ধন গ্রহণ করা হবে না। আমার কোনও সন্দেহ নেই যে, ব্রিটিশ সরকার সৌদি আরবের কাছে সাইবার নজরদারি সংক্রান্ত প্রযুক্তি বিক্রির মাধ্যমে নিজস্ব আইনের ধারা অনুসারে অবৈধ কাজ করছে"-বলছেন অ্যান্ড্রু ফেইনস্টেইন । ব্রিটিশ সরকার তার ঘনিষ্ঠ মিত্র অস্ট্রেলিয়ার কাছে এ ধরনের প্রযুক্তি রপ্তানিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কিন্তু বি.এ.ই প্রযুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি করছে। ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য সব ধরনের রপ্তানি মূল্যায়ন করা হয় এবং পরিস্কার কোনো ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকলে সেখানে লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এক বিবৃতিতে বি.এ.ই জানায়, তাদের প্রযুক্তি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং তারা সব ধরনের রপ্তানি নীতিমালা মেনেই কাজটি করছে বলেও জোর দিয়ে বলছে। এ বিষয়ে আরব আমিরাত, ওমান এবং সৌদি অরবের সরকারের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেও বিবিসি কোনও সাড়া পায়নি। যেসব দেশ এই সিস্টেম কিনছে তারা প্রকৃত অর্থে কতটা ব্যবহার করছে তা জানা না থাকলেও এটা নিশ্চিত যে, নজরদারি সরঞ্জাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। বি.এ.ই এখন অন্যান্য দেশগুলোর হাতেও সেই ক্ষমতা দিচ্ছে এবং এর পরিণতি গণতন্ত্র এবং নাগরিক স্বাধীনতার জন্য ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা থাকছে। | A year-long investigation by BBC Arabic and a Danish newspaper has uncovered evidence that the UK defence giant BAE Systems has made large-scale sales across the Middle East of sophisticated surveillance technology, including to many repressive governments. These sales have also included decryption software which could be used against the UK and its allies. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ধ্বংসস্তুপের তলা থেকে আজ আরও অনেক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পটি তুরস্ক ছাড়াও নিকটবর্তী গ্রিসের স্যামোসে আঘাত করে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭ বলে উল্লেখ করলেও তুরস্ক বলছে, এটি ছিল ৬.৬ মাত্রার। এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৭ জন, আর ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ৮০০-রও বেশি মানুষ। ইজমির শহরে ত্রাণকর্মীরা ভেঙে পড়f কংক্রিটের টুকরোর মধ্য থেকে মানুষজনকে টেনে বের করছে। ইজমিরের মেয়র বলছেন, শহরের ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপের তলায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা সারা রাত ধরে কাজ করেছেন। এপর্যন্ত ৭০ জনকে বের করা হয়েছে। এরই মধ্যে শহরে কয়েকশ'বার ভূমিকম্প-পরবর্তী মৃদু কম্পন হয়। যার ফলে উদ্ধার তৎপরতা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ইজমিরে অন্তত ২০টি ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ গ্রিসেও এই ভূমিকম্প আঘাত করে। সেখান স্যামোস দ্বীপের একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে দুটি কিশোর প্রাণ হারিয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে ঐ অঞ্চলের সাগর থেকে যে প্লাবন তৈরি হয় তাতে ঐ দ্বীপের বন্দরগুলিতে জল ঢুকে পড়ে। বিবিসি সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তুরস্ক এবং গ্রিসের দুই রাজধানীতেই তা অনুভব করা গেছে। আর সম্ভবত এই ঘটনা শত্রুভাবাপন্ন দুই দেশের মধ্যে আলোচনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। দুই দেশের সরকার প্রধান ভূমিকম্পের পর টেলিফোনে কথা বলে পরষ্পরের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন। | Rescue teams in the Turkish port city of Izmir are hunting through the rubble of collapsed buildings for survivors of Friday's powerful earthquake. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ভিয়েতনামেও হ্যানয়ের উত্তরের গ্রামগুলিতে ছয়জনের করোনাভাইরাস নাক্ত হওয়ায় ১০ হাজার জনকে পৃথক করে রাখা হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম হল জাপানের বন্দরে ভেড়া ক্রুজ জাহাজটির পরিস্থিতি। যেখানে নতুন করে ৪৪ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এতে জাহাজটিতে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮ জনে। ডব্লিউএইচও বলছে, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার বা তীব্রতার ধরণে কোনও বড় পরিবর্তন হয়নি। হুবেইয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ১১৬জন। এছাড়া নতুন আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪,৮২৩জন। আগের দিনের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার কিছুটা কম। গতকাল নতুন করে ২৪০ জনের মৃত্যু হয়। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে এর বেশিরভাগ লোক হুবেই প্রদেশে। থাইল্যান্ডে মাস্ক পরা এক নারী। আরও পড়তে পারেন: ''আমার বিশ্বাস আমরা এ থেকে বেরিয়ে আসবো' করোনাভাইরাস: রুশ মিডিয়ায় মার্কিন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করোনাভাইরাস: 'অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না' করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সেখানে নতুন একটি সংজ্ঞা ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই সংখ্যার তারতম্য দেখা যাচ্ছে, বলেন ডব্লিউএইচও-এর জরুরী স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের প্রধান মাইক রায়ান। "প্রাদুর্ভাবের গতিপথে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসলে হয়নি," তিনি বলেন। চীনের বাইরে ২৪ টি দেশে এ পর্যন্ত ৪৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন দুই জন। বৃহস্পতিবার জাপানে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যুর ঘোষণা এসেছে - টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে কানাগাওয়া শহরের বাসিন্দা ওই নারীর বয়স ছিল প্রায় ৮০ বছরের মতো। জাপানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই নারীর মৃত্যুর পরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এই রোগের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া গেছে। এবং এই প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের সাথে তার কোনও সুস্পষ্ট যোগসূত্র নেই। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, তারা উত্তর কোরিয়ায় সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের প্রভাব নিয়ে "গভীর উদ্বেগের" মধ্যে রয়েছে, দেশটিতে এখনও পর্যন্ত কোনও কোন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজ দেশ থেকে এবং আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো থেকে সাহায্য দেয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করবে বলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে ৩৭০০ যাত্রী থাকলেও সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। ডায়মন্ড প্রিন্সেসে কী হচ্ছে? জলযানটিকে ইয়োকোহামায় কোয়ারান্টিনে অর্থাৎ আলাদা করে রাখা রয়েছে। জাহাজটির ভেতরে থাকা ৩৭০০ জন যাত্রীর সবার স্বাস্থ্য এখনও পরীক্ষা করা হয়নি। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য তাদেরকে জাহাজ থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জাহাজের ভেতরে থাকা অন্যান্যদের কেবিনের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার জাপান বলেছে যে তারা ওই জাহাজে থাকা ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষদের, যাদের কিনা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ধারা পড়েনি, তাদেরকে জাহাজ থেকে নামার অনুমুতি দেবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাটসুনোবু কাটো বলেছেন, শুক্রবার তাদেরকে জাহাজ থেকে নামতে দেওয়া হতে পারে তবে সরকারের দেওয়া আবাসনে থাকতে হবে, জাপান টাইমস জানিয়েছে। এদিকে, এমএস ওয়েস্টারডাম নামে আরও একটি ক্রুজ জাহাজ ২ হাজার জন যাত্রীকে নিয়ে জাপান, তাইওয়ান, গুয়াম, ফিলিপিন্স এবং থাইল্যান্ডের বন্দর থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। জাহাজটির সবাই সুস্থ থাকা সত্ত্বেও সেটাকে কোথাও ভিড়তে দেয়া হচ্ছিল না। পরে জাহাজটি কম্বোডিয়া বন্দরে নোঙর করে। গোটা চীনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা হুবেই প্রদেশে। হুবেইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? বুধবারে হঠাৎ এক ধাপে এতোগুলো মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত হুবেইতে ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা স্থিতিশীল ছিল। প্রদেশটিতে নতুন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ফলে তীয়ভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩৫০ জনে এবং সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো বলেছেন যে, নতুন এই সংখ্যা তাদের 'অবাক' করেছে। "আমরা চীনাদের কাছ থেকে স্বচ্ছতার অভাব দেখে হতাশ হয়েছি, এই সংখ্যাগুলো বারবার ওঠা-নামা করছে," তিনি বলেছিলেন। মিঃ কুডলো বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনও অনেক হতাশ। এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চীনকে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে চাইলেও, চীন এই মার্কিন প্রস্তাবে কোন সাড়া দেয়নি। এদিকে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরে চীনের হুবেই প্রদেশের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বেইজিং। কয়েক সপ্তাহের অনিশ্চয়তার পর অবশেষে বন্দর পেয়েছে এমএস ওয়েস্টারড্যাম। ডব্লিউএইচও থেকে মি. রায়ান বলেছেন যে রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা এই সংখ্যা বেড়ে যাবার একটা কারণ। সমগ্র চীনজুড়ে যে পরিমাণ মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন তারমধ্যে কেবলমাত্র হুবেই প্রদেশেই এই সংক্রমণের হার ৮০% বা তারও বেশি। এখন নতুন করে আক্রান্তদের নির্ণয়ের জন্য এখন নতুন সংজ্ঞা ব্যবহার হচ্ছে। মিঃ রায়ান জানিয়েছেন, ডব্লিউএইচও দলের চূড়ান্ত সদস্যরা এই প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থলটি অনুসন্ধানের জন্য সাপ্তাহিক ছুটিতে চীন পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। হুবেইয়ের কনফারেন্স সেন্টারগুলো এখন অস্থায়ী হাসপাতাল বিবিসির চীন সংবাদদাতা স্টিফেন ম্যাকডনেলের বিশ্লেষণ: এই সংখ্যা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? চীনের করোনাভাইরাসের সরকারি হিসাব যারা অনুসরণ করছেন তাদের সবার কাছেই এই হিসাব অসম্পূর্ণ লেগেছে। সরকারী কর্মকর্তারাও এটি জানেন। সংক্রমিত সবাই এ হিসেবের মধ্যে থাকবে না। সেটি সম্ভবই বা কীভাবে? তবে আমরা পাচ্ছি সেটি হচ্ছে একটি ট্রেন্ড। প্রাদুর্ভাবের পরিধি অনুমান করার জন্য আমরা প্যাটার্নটি পর্যবেক্ষণ করতে পারি। এখন সেটাও ওলট-পালট হয়ে গেছে। নতুন সংজ্ঞায় যাদের শরীরে রোগের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, এবং সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফুসফুসের সংক্রমণ দেখা যাবে তাদেরকেও করোনাভাইরাস সংক্রমিত বলা হচ্ছে। এতে পুরো ম্যাপিংয়ে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। কেবলমাত্র হুবেইতে গত ২৪ ঘণ্টায়, প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে সংক্রমিত তালিকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এটি বিশ্বজুড়ে ভীতি ছড়িয়ে দিতে পারতো।, কিন্তু বাস্তবে, আপনি যদি বুধবারের পরিসংখ্যানটি পুরনো সংজ্ঞা অনুসারে বিবেচনা করেন, তাহলে বরং সংক্রমণের হার আরও কমেছে। সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চিত্র। সুতরাং এখন, আমরা আমাদের মাথা চুলকাচ্ছি: আমরা কি বৃহস্পতিবার থেকে আবার নতুন করে প্যাটার্নটির দিকে নজর দেওয়া শুরু করব? এখন অনেকেই ভাবছেন, প্রকৃত মৃত্যুর হার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় আসলে কেমন এবং সামগ্রিক পরিসংখ্যানকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। | Coronavirus cases are not rising dramatically outside China despite a spike in Hubei province, the World Health Organization (WHO) says. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া স্বজনদের আর্তনাদ। (ফাইল ছবি) বাংলাদেশেও সড়কে মৃত্যুর মিছিল নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতবছর নিরাপদ সড়কের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হলেও পরিস্থিতির কোন দৃশ্যত পরিবর্তন নেই। মঙ্গলবারও ঢাকায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহত হওয়ার পর আবার শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দাবী পুরনোই - নিরাপদ সড়ক চাই। কিন্তু এসব সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব জীবন ঝরে যায়, তাদের জীবনের আসলে মূল্য কত? অথবা সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে যারা বেঁচে থাকেন, তাদের এই ভোগান্তির আর্থিক মূল্যই বা কত? টাকার অঙ্কে এই হিসেব অনেকে না-ই করতে চাইবেন। তবে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট কত টাকার ক্ষতি হয়, তার হিসেব বের করা হয়েছে বাংলাদেশেরই এক সরকারি জরিপে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তর ২০১৬-১৭ সালের এক জরিপে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া কোন কর্মক্ষম ব্যক্তির অর্থনৈতিক ক্ষতি, চিকিৎসার খরচ, জীবনের মূল্য, গাড়ির ক্ষতি এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য সব হিসেব থেকে এই চিত্র তুলে ধরেছে। সর্বসাকুল্যে একটি প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। তবে মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতি হয়। ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকাপ্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ক্ষতির পরিমাণ ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকামারাত্মক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ সাধারণ দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা আরো পড়ুন: নিরাপদ সড়ক: দ্বিতীয় দিনের মত চলছে ছাত্র বিক্ষোভ কতটা বিপজ্জনক সড়কে চলাচল করছেন আপনি? ২০১৬-১৭ সালের দুর্ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে জরিপে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে এ হিসেবের মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অর্থনৈতিক চাপ, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির শুণ্যস্থান পূরণ ও সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ, দুর্ঘটনার ফলে রাস্তায় নষ্ট হওয়া অতিরিক্ত সময়, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে গড় আয়ু কমার অর্থনৈতিক ক্ষতি ইত্যাদি বিষয়গুলো হিসেব করা হয়নি বলে জরিপে বলা হচ্ছে। পুলিশের রেকর্ডে থাকা জাতীয় সড়ক পরিবহন দুর্ঘটনা রির্পোট ২০১৪-এর উপর ভিত্তি করে শহর ও গ্রাম থেকে ১,৫৫৮ জন হতাহতকে নমুনা হিসেবে নিয়ে এই তথ্য বের করেছে সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের এই জরিপ। কর্মক্ষম ব্যক্তির অর্থনৈতিক ক্ষতি সরকারি ওই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় একটি কর্মক্ষম ব্যক্তির প্রাণ হারানোর ফলে অর্থনৈতিকভাবে গড় ক্ষতির পরিমাণ ২৪,৬২,১০৬ টাকা। আর মারাত্মকভাবে আহত হলে সেক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় গড়ে ২০,৯৭৭ টাকা। তবে সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তা মাত্র ১,৫৯৮ টাকা। ২৪ লাখ ৬২ হাজার টাকানিহত হলে আর্থিক মূল্যে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার টাকামারাত্মকভাবে আহত হলে আর্থিক মূল্যে ক্ষতির পরিমাণ সাধারণ দুর্ঘটনায় আহত হলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণপ্রায় ১,৬০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি যেভাবে হিসেব করা হয়েছে গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার কোন ব্যক্তির যে উৎপাদন ক্ষমতা, তার আর্থিক মূল্যের হিসেব করে এটি পাওয়া গিয়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার বিশ্লেষণে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের উপর জরিপ করে অথবা তাদের গড় বেতন হিসেব করে এই ক্ষতি নিরুপণ করা হয়। তবে মোটরযান ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে গড় আয় নিরুপণ করা হয়েছে বাংলাদেশ রোড রিসার্চ ল্যাবরেটরি (বিআরআরএল)-এর ট্রাভেল টাইম কস্ট (টিটিসি) জরিপের উপর ভিত্তি করে। শুধুমাত্র পথচারীদের গড় আয় ধরা হয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (২০১৫-১৬) তথ্য অনুযায়ী, মাথাপিছু আয় ৯,৫৫০ টাকা হিসেব করে। গবেষক দল বলছে, তারা তাদের নমুনা থেকে দুর্ঘটনায় হতাহতদের গড় বয়স বের করেছেন যাতে সারাজীবনে তাদের গড় আয় কত হতে পাবে - সেটির ধারণা পাওয়া যায়। সেখান থেকে দুর্ঘটনার জন্য যত বছর নষ্ট হলো, তার ভিত্তিতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বের করা হয়েছে। অন্যদিকে, আহতদের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার পর যতদিন কোন ব্যক্তিকে কাজ থেকে দূরে থাকতে হয়, তার সঙ্গে তার দৈনিক আয়কে গুণ করে ওই কয়েকদিনের আর্থিক ক্ষতির হিসেব বের করা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মারাত্মক আহত হলে সুস্থ হতে ৩০ দিন পর্যন্ত ধরে নেওয়া হয়, আর সামান্য আহত হলে তা দু'দিন ধরে হিসেব করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। ইলিয়াস কাঞ্চনের নি:সঙ্গ লড়াই চিকিৎসার জন্য কত খরচ হয়? সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচের মধ্যে রয়েছে - প্রাথমিক চিকিৎসা এবং উদ্ধার তৎপরতা, হাসপাতালের খাবার, বিছানা, অপারেশন, এক্স-রে, ওষুধ ও ডাক্তারের ফি এবং পরবর্তীতে পুনর্বাসনের খরচ। তবে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের খুব কমই অ্যাম্বুলেন্স সেবা অথবা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় - অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেডিক্যাল সেন্টার বা বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর যারা ঘটনাস্থলে নিহত হন, তাদের মরদেহ পুলিশ পরিবহন করে। ২০১৬-১৭ সালের ওই জরিপে দেখা যায়, উদ্ধার ও পরিবহন বাবদ প্রত্যেক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির জন্য গড়ে ১,৪০০ টাকা ব্যয় হয়। অন্যদিকে, হাসপাতালের খরচ বের করা বেশ কঠিন বলে মনে করা হয়। কারণ মারাত্মক আহতদের ক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ১০ দিন এবং হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে দুই দিন হিসেব করা হয়। এ হিসেবে একটি সাধারণ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রায় ১,৬০০ টাকা খরচ হয়, আর মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে খরচ প্রায় ১০,০০০ টাকা। তবে নিহত প্রতি ব্যক্তির জন্য ১,৪০০ টাকা খরচ হয় বলে জানাচ্ছে ওই জরিপ। মানবিক মূল্য কত? ১৯৮০-এর দশকে ভারতে রোড ইউজার কস্ট গবেষণার ক্ষেত্রে, দুর্ঘটনার ফলে পেইন, গ্রিফ অ্যান্ড সাফারিংস (পিজিএফ) ধরা হয়েছিল মোট অর্থনৈতিক ক্ষতির ২০ শতাংশ হিসেব করে। ভারতে পরবর্তী গবেষণাগুলোতে এবং ১৯৯৫ সালে নেপালেও পিজিএফ একই ভাবে হিসেব করা হয়েছিল। সে হিসেবে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার জীবনের মানবিক মূল্য বা পিজিএফ গড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। আর মারাত্মক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তা ১২ হাজার টাকার মতো, এবং সামান্য আহতদের জন্য তা ৯৭০ টাকার মতো। কোন ধরনের যানবাহন কী পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়ে? সরকারের এই গবেষণায়, যেসব দুর্ঘটনার পর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না, সেগুলোকে 'সাধারণ দুর্ঘটনা' বলা হচ্ছে। অন্যদিকে 'মারাত্মক দুর্ঘটনা' শব্দটি এমন ধরনের আহতের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে রোগীকে রাতারাতি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। এমনকি দুর্ঘটনার পর ৩০ দিনের মধ্যে মারা যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তবে দুর্ঘটনার দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মারা গেলে তাকে নিহত বলে ধরা হয়েছে গবেষণাটিতে। বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক: আইন মানার প্রবণতা কতটা? | Worldwide, around a billion people have a disability, says the World Health Organisation. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | কুহু দাস (বাঁয়ে দাঁড়ানো) এবং জিজা ঘোষ (বসা) অন্যদের সাথে পোলিওর কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া কুহু দাস জানান, তাকে বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় তার ক্যালিপার বা কাঠের পা খুলে স্ক্যানার মেশিনে দিতে বলা হয়। মিজ দাস একজন মহিলা নিরাপত্তা কর্মীকে বলেন, তার পক্ষে ট্রাউজার না খুলে ক্যালিপার খোলা সম্ভব নয়। কিন্তু তার পরও তাকে তা করতে বলা হয়। জিজা ঘোষ নামে আরেক জন অধিকারকর্মীকে - যিনি সেরেব্রাল পলসিতে আক্রান্ত - বলা হয় যে তিনি একজন সঙ্গী ছাড়া বিমানভ্রমণ করতে পারবেন না। প্রতিবন্ধী নারীদের অধিকার সংক্রান্ত একটি সভায় যোগ দিতে তারা দিল্লি যাচ্ছিলেন। নিরাপত্তা কর্মীদের আচরণের প্রতিবাদ করার পর তাদের দু'জনকে যেতে দেয়া হয়, তবে তারা জানান, তারা "অপমান এবং বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন।" মিজ দাস বলেন, তিন বছর বয়সে তার পোলিও হয় এবং বহু বছর ধরেই তিনি টিটানিয়াম রড দিয়ে তৈরি ক্যালিপার ব্যবহার করছেন। এর আগে ভারতের বাইরে কোন বিমানবন্দরে তাকে এমন অবস্থায় পড়তে হয় নি। আরো পড়তে পারেন: প্রতিবন্ধী মেয়েদের জীবন কতটা চ্যালেঞ্জের? বিমানে প্রতিবন্ধী যাত্রী বিতর্ক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য কতোটা সহায়ক ঢাকার রাস্তা? তিনি বলেন, "প্রতিবার ক্যালিপার খুলতে বলাটা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়- কারণ এর অর্থ হচ্ছে আমাকে ট্রাউজার খুলতে বলা। " তিনি আরো জানান, গোএয়ার নামে বেসরকারি বিমানসংস্থাটি তার সহযাত্রী জিজা ঘোষকে - যিনি হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন - বলে যে তিনি একা বিমানে যেতে পারবেন না। মিজ দাস বলেন, জিজা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যে নিজে নিজে পৃথিবীর নানা জায়গায় গেছে। সে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেছে। আমরা একে বৈষম্যমূলক বলে প্রতিবাদ করার পর চেকইন কাউন্টারের লোকটি দু:খপ্রকাশ করে। কিন্তু আমি তার ওপর রাগ করছি না। একটি বিমানসংস্থা প্রতিবন্ধীদের সাথে কী আচরণ করছে সেটাই আসল ব্যাপার। কোলকাতা বিমানবন্দরের দু:খপ্রকাশ এ ঘটনার খবর ভারতের সংবাদমাধ্যমে বেরুনোর পর কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক টুইটার বার্তায় দু:খ প্রকাশ করে। ভারতে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি, কিন্তু দেশটিতে তাদের সহায়তার অবকাঠামো অত্যন্ত নগণ্য। অধিকারকর্মীরা বলেন তারা প্রতিনিয়ত বিরূপ মনোভাব, বৈষম্য, ও হয়রানির শিকার হন। ভারতের কর্তৃপক্ষ দু'বছর আগে বলেছিল যে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় তাদের কৃত্রিম পা খুলতে হবে না। কিন্তু সে নির্দেশ দৃশ্যত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে পৌঁছে নি। দু'বছর আগে একজন নারী প্যারা এ্যাথলেটকে ট্রেনের মেঝেতে ঘুমাতে হয়, কারণ তাকে নিয়ম লংঘন করে ওপরের বার্থ দেয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন এমন একজন প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী সিনেমা হলে জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় উঠে দাঁড়াতে পারেন নি বলে তাকে আক্রমণ করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ভোলায় হিন্দুদের বাড়ি, মন্দিরে হামলার ঘটনাও ঘটেছিল ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ষড়যন্ত্রের অংশ - পাপন ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া ঠেকাবেন যেভাবে জাপানের সম্রাটের যে তিন সম্পদ কেউ দেখতে পায় না নকল ঠেকাতে মাথায় বাক্স পরে কলেজে পরীক্ষা | Authorities at India's Kolkata airport have apologised to two disability activists, one of whom says she was asked to remove her trousers. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ফেসবুক ব্রিটিশ ব্যবহারকারী কাছে আহ্বান জানিয়েছে তাদের নগ্ন ছবি পাঠানোর জন্য। উদ্দেশ্য প্রতিশোধমূলকভাবে যৌন ছবি পোস্ট ঠেকানো। কারো ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি অন্য কোনও ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে দিতে পারে-এমন আশঙ্কা থাকলে সেক্ষেত্রে এটি কাজ করবে। কেননা অনলাইনে ওই ছবি প্রকাশিত হওয়ার আগেই তা ব্লক করে দেবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। একই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের হয়রানিমূলক ছবি ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়াতে এই প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করেছে। এখন তারা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে এই পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। নিউজবিটকে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখন ব্রিটেনের মানুষদের জন্য বিষয়টি উন্মুক্ত করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন কীভাবে 'ফেসবুক পুলিশ': কিভাবে নজর রাখছে আপনার ওপর কীভাবে এটি কাজ করবে? যদি নিজের কোন ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে একজন ব্যবহারকারী উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে ফেসবুকের যে সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে বিচারের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। ব্রিটেনে যেমন রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্প-লাইনে এজন্য যোগাযোগ করা যাবে। তখন সেখানকার কর্মীরা ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করবে এবং ব্যবহারকারীকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হবে সেখানে ছবি আপলোডের জন্য। কিন্তু এই নগ্ন ছবি কারা দেখতে পাবে? ফেসবুকের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক প্রধান অ্যান্টিগন ডেভিস নিউজবিটকে বলেন, এই ছবি দেখতে পাবে কেবলমাত্র পাঁচজন প্রশিক্ষিত রিভিউয়ার্স নিয়ে গড়া ক্ষুদ্র একটি দল। তারা ছবিটিতে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংযোজন করবে। এরপর সেই কোডটি ডাটাবেজ-এ সংরক্ষণ করা হবে। অন্য কোন ব্যক্তি যদি সেই একই ছবি কোনভাবে আপলোড করার চেষ্টা করে কোডটি তখন শনাক্ত করবে এবং সেটা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং মেসেঞ্জারে প্রকাশ হওয়ার আগেই আটকে দেবে। সত্যিই কি এই পদ্ধতি কার্যকর হবে? ফেসবুকের অ্যান্টিগন ডেভিস স্বীকার করেন যে, "যখন ফটো-ম্যাচিং প্রযুক্তির বিষয় জড়িত তখন ১০০% নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। কারণ ছবিকে বিকৃত করা সম্ভব তাই মূল ছবি থেকে সেগুলো আলাদা হতে পারে। কিন্তু তিনি বলছেন তারা ভালো ফল পাচ্ছেনা। পুরো প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে কাজ করবে যদি যে ছবিটি নিয়ে দুশ্চিন্তা সেটি হাতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি কারও সাবেক প্রেমিক/প্রেমিকা ফোনে ছবি তুলে থাকেন এবং সেগুলো যদি তার কাছে না থাকে তাহলে এই প্রক্রিয়া তাকে কোনও কাজে দেবে না। ২০১৫ সালে চালুর পর থেকে ব্রিটেনের রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্প-লাইন বছর বছর এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার রিপোর্ট দেখতে পেয়েছে। চালুর পর ২০১৫ সালে এই হটলাইনে এ ধরনের পাঁচশোর বেশি রিপোর্ট পেয়েছে। আর ২০১৭ সালে এ ধরনের রিপোর্ট এসেছে ১০০০-এর বেশি। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: 'বিমানে সবাই কান্নাকাটি এবং দোয়া পড়তে থাকেন' 'মাদক ব্যবসার চেয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা বড় অপরাধ' বাং | Facebook is asking British users to send naked photos of themselves to the social network, to try to stop revenge porn. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | অত্যন্ত দরিদ্র দেশ চীন গত ৭০ বছরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি চীনে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে গৃহযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালের ১লা অক্টোবর কমিউনিস্ট নেতা চেয়ারম্যান মাও জেদং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার পর থেকে গত সাত দশকে দেশটিতে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটেছে। নজিরবিহীন সম্পদ অর্জন করেছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। চীন আজ শুধু এশিয়া মহাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেও পরাক্রমশালী এক রাষ্ট্র। একজন গবেষক ও চীনা অর্থনীতিবিদ ক্রিস লিয়ং বলেছেন, "কমিউনিস্ট পার্টি যখন চীনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে তখন দেশটি খুবই গরিব একটি দেশ ছিল। ব্যবসা করার জন্যে তাদের কোন অংশীদার ছিল না, কারো সাথে ছিল না কূটনৈতিক সম্পর্ক, তারা শুধু তাদের নিজেদের উপরেই নির্ভরশীল ছিল।" গত ৪০ বছরেও বেশি সময় ধরে চীন তাদের বাজার অর্থনীতিতে একের পর এক যুগান্তকারী সংস্কার ঘটিয়েছে, ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্যে নতুন নতুন রাস্তা খুলে দিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্রের কবল থেকে বের করে এনেছে। বিংশ শতাব্দীতে মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ যতো ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১৯৫০-এর দশককেও বিবেচনা করা হয়। মাও জেদং সেসময় খুব দ্রুত চীনের কৃষি অর্থনীতিকে একটি শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার এই কর্মসূচি গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড নামে পরিচিত। মাও জেদং-এর এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয় এবং ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে প্রাণ হারায় এক থেকে চার কোটি মানুষ। এর পর ৬০-এর দশকে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কারণে চীনের অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাত থেকে কমিউনিস্ট পার্টিকে মুক্ত করতে তিনি এই বিপ্লবের সূচনা করেন। কিন্তু এর ফলে সমাজের অনেক বিষয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সারা বিশ্বের কারখানা ১৯৭৬ সালে মাও জেদং এর মৃত্যুর পর দেং শিয়াওপিং-এর শাসনামলে চীনের বিভিন্ন খাকে সংস্কারের কাজ আরো বিস্তৃত হতে শুরু করে। নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করে দেশটির অর্থনীতি। কৃষকদেরকে তাদের নিজেদের জমি চাষাবাদের অধিকার দেওয়া হয়। এর ফলে তাদের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটতে ও খাদ্যের ঘাটতিও কমে আসতে শুরু করে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্যে চীনের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৭৯ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে গড়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক। সস্তা শ্রম ও অল্প খরচের কথা মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্র সেখানে অর্থ ঢালতে শুরু করে। "১৯৭০-এর দশকের শেষ দিক থেকে তার পরের সময়ে আমরা দেখি যে বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাসে চীনের অর্থনীতি এক অলৌকিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে," বলেন ডেভিড মান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের আন্তর্জাতিক প্রধান অর্থনীতিবিদ। এর পরে ১৯৯০-এর পুরো দশক ধরেই চীনে খুব দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। দেশটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগ দেয় ২০০১ সালে। চীনের জন্যে এটিও এক ঐতিহাসিক ঘটনা। অন্যান্য দেশের সাথে চীনের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেসব বাধা ও শুল্ক ছিল সেগুলোও ক্রমশ হ্রাস পেতে শুরু করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা যায় যে বিশ্বের সর্বত্র চীনের পণ্য ছড়িয়ে পড়েছে। মি. মান বলেন, "চীন যেন সারা বিশ্বের জন্যে একটি ওয়ার্কশপ বা কারখানায় পরিণত হয়।" লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে ১৯৭৮ সালে চীনের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার যা ছিল বিশ্ব বাণিজ্য থেকে মাত্র এক শতাংশ কম। এর পর থেকে চীনের রপ্তানি আরো দ্রুত হারে বাড়তে থাকে। ১৯৮৫ সালের মধ্যে দেশটির রপ্তানির পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি ডলারে পৌঁছে যায় এবং তার দুই দশকেরও কম সময় পর এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। পণ্য রপ্তানির বিচারে চীন পরিণত হয় বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হিসেবে। দারিদ্র হ্রাস অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে চীনে কোটি কোটি মানুষের সম্পদও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বিশ্বব্যাংক বলছে, এই সময়কালের মধ্যে চীনে ৮৫ কোটিরও বেশি মানুষকে দারিদ্রের কবল থেকে মুক্ত করা হয় এবং ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে দেশটিতে চরম দারিদ্র বলে কিছু থাকবে না। একই সাথে শিক্ষার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বলছে, চীনে যে কর্মশক্তি আছে, ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের ২৭ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন করবে, যা হবে আজকের জার্মানির সমান। অসাম্য বাড়ছে তারপরেও অর্থনৈতিক এই সাফল্যের সুফল ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীনে সব মানুষের কাছে সমানভাবে পৌঁছায় নি। আরো পড়তে পারেন: বিদেশী ফুটবলাররা চীনের নাগরিক হচ্ছে যে কারণে মাত্র চার দশক আগে যেমন ছিল চীন চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: জুতার দাম যেভাবে বাড়বে চীন আর আমেরিকার মধ্যে কি যুদ্ধ বেধে যাবে? ধনকুবেরের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও তার পাশাপাশি দরিদ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে খুব বেশি দক্ষতা নেই এমন মানুষের হিসেবও। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য আরো গভীরে চলে গেছে। বিশেষ করে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে এই বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট। "গোটা অর্থনীতি খুব একটা অগ্রসর হয়নি, বিভিন্ন অংশের মধ্যে এখনও বড় ধরনের পার্থক্য রয়ে গেছে," বলেন মি. মান। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, মাথাপিছু আয়ের হিসেবে চীন এখনও উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাতারেই রয়ে গেছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় চীনাদের এই আয় এক চতুর্থাংশেরও কম। ডিবিএস নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, চীনের গড় বার্ষিক আয় মাত্র ১০,০০০ ডলার যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক আয় ৬২,০০০। শ্লথ প্রবৃদ্ধি বর্তমানে চীন শ্লথ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করতে চলেছে। বহু বছর ধরেই চীন চেষ্টা করছে রপ্তানি-নির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে এসে ভোক্তা-নির্ভর প্রবৃদ্ধির দিকে জোর দিতে। ফলে দেশটির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে চীনা পণ্যের ব্যাপারে সারা বিশ্বের চাহিদা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য-যুদ্ধ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীনে প্রবৃদ্ধির হার যদি ৫ থেকে ৬ শতাংশেও এসে দাঁড়ায়, তারপরেও বিশ্বের অর্থনৈতিক বিকাশের জন্যে দেশটি সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করবে। চীনে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্যও প্রকট। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রকল্পে তাদের বিনিয়োগ। এরকম একটি প্রকল্প হচ্ছে 'বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' যা এ যুগের সিল্ক রোড নামেও পরিচিত। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের অর্ধেক জনগণকে একসাথে যুক্ত করা। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে সারা বিশ্বে বাণিজ্য বিনিয়োগের পরিমাণ অভাবনীয় আকারে বৃদ্ধি পাবে। আরো পড়তে পারেন: 'এখন এমন কোন অপরাধ নেই যেটাতে পুলিশ জড়িয়ে পড়ছে না' খুলনায় একটি বিষ্ফোরণের দায় স্বীকার করলো আইএস শেখ হাসিনাঃ ওয়ান ইলেভেন হবে না, আমরাই ব্যবস্থা নেব | It took China less than 70 years to emerge from isolation and become one of the world's greatest economic powers. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন যদিও সম্মেলনে দুই প্রেসিডেন্টের এই সাক্ষাত ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত এবং অনির্ধারিত। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বি-পাক্ষিক কোন আলোচনা হয়নি। টুইটারে মি. ট্রাম্প তার সমালোচকদের 'নিন্দুক ও বোকার দল' অভিহিত করে লিখেছেন, তারা দুই দেশের সম্পর্ক ভালো করার ব্যপারে উৎসাহী না একেবারেই। এপেক শীর্ষ সম্মেলনের সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন মি. ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সংক্ষিপ্ত আলোচনার বিষয়ে। জানিয়েছেন, অল্প সময়েই দুই নেতার আলোচনার প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের মতো বিতর্কিত ও সমালোচিত বিষয়ও ছিল। মি. ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আরো পড়ুন: যোগ ব্যায়াম শেখানোয় হুমকিতে মুসলিম নারী সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে যুদ্ধ কি আসন্ন? এ ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট অপমানিত বোধ করেছেন বলেও জানিয়েছেন মি. ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে, মি. পুতিন বলেছেন যে তিনি হস্তক্ষেপ করেন নি। মি. ট্রাম্প আবারো তাকে একই প্রশ্ন করলে মি. পুতিন একই উত্তর দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের তখন বলেন যে, এই ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট খুব অপমানিত হয়েছেন এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে মোটেই ভালো কিছু নয়। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ওই রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে। বিশেষ তদন্তকারী হিসেবে রবার্ট মুলারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছ এবং এরই মধ্যে মি. ট্রাম্পের সাবেক কয়েকজন সহযোগীর নামও উঠে এসেছে সেখানে। | US President Donald Trump said he had "good discussions" with Russian leader Vladimir Putin when they met briefly at an Asia-Pacific summit in Vietnam. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | নির্যাতন বোঝায়, এরকম চিত্রকর্ম এরকম একজন নির্যাতনকারী অ্যান্ড্রু, যিনি চারিত্রিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছিলেন যখন তার সংসার ভেঙে যেতে বসেছিল। সঙ্গী এমা'র প্রতি তার ব্যবহার সবসময়ই অবমাননাকর ছিল। বেশ কয়েকবার এমাকে আহতও করেছিল অ্যান্ড্রু। অ্যান্ড্রু'র নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর একসময় ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে। পরবর্তীতে এমা তাদের সন্তানদের ভরণপোষণে হিমশিম খান। কিছুদিন পর তাদের সন্তানদের সরিয়ে নেয়া হয় তাদের তত্বাবধান থেকে। আচরণ পরিবর্তন অ্যান্ড্রু'র সাথে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে নতুন করে যখন জীবন শুরু করার চিন্তা করে এমা, তখন তাকে এই বিষয়ে সহায়ক নানা ধরণের কোর্স করতে বলা হয়। অন্যদিকে অ্যান্ড্রুও একই ধরণের সহায়তা খুঁজছিলেন। এমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা বন্ধ করতে চাচ্ছিলেন তিনি - আর এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সাহায্যও খুঁজছিলেন। ঐসময় 'ফিনিক্স ডোমেস্টিক অ্যাবিউজ সার্ভিস' নামক সংস্থার খোঁজ পান তিনি, যারা এরকম নির্যাতনকারী পুরুষদের মানসিকতা ও আচরণ পরিবর্তনে সাহায্য করে থাকে। ফিনিক্সে সাত মাসের কোর্স শেষ করার পর অ্যান্ড্রুর মনে হতে থাকে যে তার আচরণের পরিণাম ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহেই তাকে তার ব্যবহার নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হতো এবং তখন তাকে নিজের আচরণের মুখোমুখি করা হতো। কোর্সটিতে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয়, নানা ধরণের সমস্যার সমাধান করা এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হতো - যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা প্রিয়জনদের ওপর তাদের ব্যবহারের বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনুধাবন করার চেষ্টা করতেন। "তখন আমি যে মানুষ ছিলাম, তা নিয়ে আমি মোটেও গর্বিত নই", বলেন অ্যান্ড্রু। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: যে ৫টি উপায়ে আপনি বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে পারেন বিএনপির সাথে অন্যদের 'ঐক্য' আটকে আছে যে কারণে 'ফিসফিসানি' ছেড়ে যখন সরব নারী সাংবাদিকরা বাংলাদেশে এখনও কি চিঠি লিখে মানুষ? যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন এমাও জানান যে অ্যান্ড্রু'র পরিবর্তন তার চোখে পরেছে। এমা বলেন, "সে অনেক বদলেছে। আমরা আগের চেয়ে বেশি কথা বলি, আর ও আগের চেয়ে বেশি শোনে।" তারা দুই বছরের জন্য আলাদা হলেও এখন একসাথে বসবাস করছেন। সন্তানদের ফিরে পেতে চেষ্টাও করে যাচ্ছেন তারা। ঐ কোর্সে অ্যান্ড্রুকে সাহায্য করেছিলেন লিডিয়া। তিনি জানান এরকম ক্ষেত্রে তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতা জরুরি হয়ে পরে কারণ "নির্যাতনকারীর আচরণ শোধনের চেষ্টা না করা হলে সাধারণত সে আরেকজন শিকার" খুঁজে বের করে। "তখন তাদের পরবর্তী সম্পর্কটিতেও এধরণের জটিলতার সৃষ্টি হয়", বলেন লিডিয়া। সবাই কি সংশোধিত হয়? এ ধরণের কোর্স শেষে অধিকাংশ মানুষের আচরণগত সংশোধন হলেও সবার ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয় না। এরকম একটি কোর্স করার পর সারাহ'র (ছদ্মনাম) সঙ্গীর আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে জানান তিনি। "উল্টো সে আরো বেশি বদরাগী হয়েছিল", বলেন সারাহ। কোর্স চলাকালীন এবং কোর্স শেষ হওয়ার পরেও বহুদিন চলেছিল সারাহ'র সঙ্গীর নির্যাতন। সারাহ মনে করেন নির্যাতনকারীদের মানসিকতা ও চরিত্র সংশোধনে এরকম কোর্স যথেষ্ট নয়। বছরের পর বছর পূর্ণাঙ্গ থেরাপি দিয়ে এরকম সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা প্রয়োজন। যুক্তরাজ্য প্রতিবছর আনুমানিক ৩ হাজার মানুষ এধরণের কোর্সে অংশ নেয় এবং এই সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। কিছু কোর্সে শুধুমাত্র নির্যাতনকারীকে নিয়ে কাজ করা হয়। আবার কিছু কোর্স সাজানো হয় নির্যাতনকারী ও তার সঙ্গী দু'জনের জন্যই। তবে কোন পদ্ধতিটি যে অধিক কার্যকর, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছেই। ২০ বছর ধরে শুধু নির্যাতনকারীদের জন্য তৈরি করা একটি কোর্স পরিচালনা করে আসছেন ডেনিস। তিনি বলেন যারা সংশোধিত হতে চায় তাদের সংশোধনের সুযোগ দেয়া উচিত। "তবে কিছু মানুষ থাকবেই যারা কখনোই সংশোধিত হতে পারবে না এবং কখনো সংশোধিত হবেও না। তবে অনেকেই আছেন যারা আসলেই নিজেকে পরিবর্তন করতে চান, এবং এই সুযোগটা তাদের প্রাপ্য", বলেন ডেনিস। | Every year more than a million people are victims of domestic abuse in the UK. Often the focus is on helping the victim find safety - but what of the abusers? Should they be given help? And can they change? |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | উইগুর স্বায়িত্তশাসিত অঞ্চলের শহর ইনিং-এর একটি মসজিদ। পাশে রেস্টুরেন্ট। সন্ত্রাসবাদ দমনের দোহাই দিয়ে যাদের আটক রাখা হয়েছে জাতিসংঘ অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেছে। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে উইগুর সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লক্ষ মুসলমানকে বিভিন্ন বন্দীশিবিরে আটক রাখা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়ার পর জাতিসংঘ এই আহ্বান জানায়। বেইজিং কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে যে কিছু 'ধর্মীয় উগ্রপন্থীকে', তাদের ভাষায়, 'নতুন করে শিক্ষা' দেয়ার জন্য আটক রাখা হয়েছে। ঐ প্রদেশে যে গোলযোগ চলছে তার জন্য চীন সরকার ইসলামপন্থী জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে থাকে। শিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমচির একটি দোকান। আরো পড়তে পারেন: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকে প্রত্যাহারের হুমকি ট্রাম্পের 'আমি তো সেদিন পুলিশের হাতে জিম্মি ছিলাম' বিড়াল পালন নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ যে গ্রামে এ মাসের গোড়াতে বর্ণবাদ বিলোপের ওপর জাতিসংঘের এক কমিটি বলেছে, তাদের হাতে একটি বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট রয়েছে যাতে বলা হয়েছে, "চীনা কর্তৃপক্ষ পুরো উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে একটি বিশাল আকৃতির কারাগারে পরিণত করেছে।" এর জবাবে চীন বলেছে, উইগুররা পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে তারা সাধারণত যেটা করে না, এবারই তারা স্বীকার করেছে যে: "ধর্মীয় উগ্রপন্থায় যারা প্রতারিত হয়েছে, তাদের জন্য সরকার পুনর্বাসন এবং নতুন করে শিক্ষার ব্যবস্থা করছে।" অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের কাছে তাদের প্রমাণ জমা দিয়ে বলেছে যে, বিপুল সংখ্যক মুসলমানকে বন্দীশিবিরগুলিতে আটক রাখা হচ্ছে এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড উইগুর কংগ্রেস তার রিপোর্টে বলছে, লোকজনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখা হচ্ছে এবং তারা ব্যাপকভাবে মারধরের শিকার হচ্ছে। বেশিরভাগ বন্দীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা জানা যাচ্ছে না। তাদের পক্ষে কোন আইনজীবীও নেই বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। উইগুরদের মুক্তির দাবিতে তুরস্কে বিক্ষোভ। | China has said reports it is holding a million Muslim Uighurs in detention in Xinjiang are "completely untrue". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীরা। এর আগে আমি আমার বোনকে বলেছিলাম: "আজ খুব খারাপ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। আমি জানি না সেটা কী, কিন্তু খারাপ কিছু একটা ঘটবে।" ক্যাপিটল ভবনের বাইরে আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু বেপরোয়া সমর্থকের মুখোমুখি হই, যারা সবাই পতাকা উড়াচ্ছিল এবং তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছিল। একটা অনুভূতি হচ্ছিল যে, ধীরে ধীরে কোন একটি সমস্যা তৈরি হতে শুরু করেছে। আমি প্রতিনিধি পরিষদের প্রেস গ্যালারিতে ঢুকে যাই। সেখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা ছিল এবং শান্ত একদল মানুষের দিকে মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম আমরা। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তার হাতে থাকা কাঠের ছোট হাতুড়িটি ব্যবহার করে প্রতিনিধিদের পাঁচ মিনিটের সংক্ষিপ্ত কিছু বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দিচ্ছিলেন। আরো পড়ুন: অধিবেশন যখন দ্বিতীয় ঘণ্টায় গড়ালো, হঠাৎই আমরা কাঁচ ভাঙার আওয়াজ শুনতে পেলাম। বাতাস ধোয়ায় ভরে যেতে শুরু করলো। ক্যাপিটল ভবনের পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসলো, "এক ব্যক্তি ভবনে ঢুকে পড়েছে।" সবাই এদিক সেদিক তাকালো, তারপর আবার নিজেদের কাজে মনোযোগ দিল। কিন্তু এর পর একের পর এক ঘোষণা আসতে থাকলো। তারা ঘোষণায় বললো যে, প্রবেশকারীরা রোটুন্ডা বা গোলাকার যে হল ঘরটি রয়েছে সেখানে পৌঁছে গেছে। এই হল ঘরটি বাইরে থেকে যে সাদা গম্বুজটি দেখা যায় সেটির নিচে অবস্থিত। গণতন্ত্রের পবিত্র ঘরটিতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে গেলো। জেমি স্টাইম একজন মার্কিন রাজনৈতিক কলামিস্ট। আমাদের অনেকেই বেশ অভিজ্ঞ সাংবাদিক ছিলেন- বাল্টিমোরে সহিংসতার খবর সংগ্রহ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার নিজেরও। কিন্তু সেগুলো থেকে এই ঘটনা অনেক আলাদা ছিল। মনে হচ্ছিল যে পুলিশ জানেই না কী হতে যাচ্ছে। তারা সংঘবদ্ধ ছিল না। তারা চেম্বারের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল, আবার তারাই আমাদেরকে বলছিল যে, আমাদেরকে বের হয়ে যেতে হবে। বোঝাই যাচ্ছিল যে, এক ধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছিল। আমার ভয় করছিল। আমি আপনাকে সেটাই বলবো। আর আমি অন্য সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলেছি, যারা আমাকে বলছিল যে ভীত হয়ে পড়ায় তারা কিছুটা লজ্জিতও হয়েছিল। মনে হচ্ছিল যে, "কারো হাতে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, ক্যাপিটলের পুলিশ ভবনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, যেকোন কিছু ঘটে যেতে পারে।" আপনি যদি ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার কথা চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন যে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয় এবং সেটি তার টার্গেটে আঘাত হানতে পারেনি। ওই টার্গেটটি ছিল ক্যাপিটল। সেরকমই কিছু মনে হচ্ছিল। আমি আমার পরিবারের কাছে একটি ফোন করি, তাদের জানাতে চেয়েছিলাম যে আমি এখানে আছি এবং পরিস্থিতি বিপজ্জনক। চেম্বারের ভেতরে পুলিশ আর বিক্ষোভকারীরা মুখোমুখি একটি গুলি চলেছিল। চেম্বারের ভেতরে তখন বিক্ষোভকারী আর পুলিশের মুখোমুখি একটা অবস্থান। দরজায় পাঁচজন লোক বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে। ভয়ানক একটা অবস্থা চলছিল। মানুষজন জানালার ভাঙা কাঁচের মধ্য দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল এবং মনে হচ্ছিল যেন যেকোন মুহূর্তে তারা গুলি ছোড়া শুরু করবে। ভাগ্য ভাল যে চেম্বারের ভেতরে কোন গোলাগুলি হয়নি। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল যে, একটা আশঙ্কা রয়েছে। কারণ পরিস্থিতি শুধু খারাপ থেকে আরো খারাপ হচ্ছিল। রেলিংয়ের নিচ দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে হয়েছে আমাদের। আমি আসলে সেরকমের পোশাক পরা ছিলাম না। অনেক নারীই বেশ ভাল পোশাক আর হিল পরে এসেছিলেন, কারণ তারা একটি আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে এসেছিলেন। হামলার সময় ক্যাপিটল ভবনে অধিবেশন চলছিল। অন্যদের সাথে হাউজের ক্যাফেটেরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলাম আমি। আমি এখনো কাঁপছি। একজন সাংবাদিক হিসেবে অনেক কিছুই দেখতে হয়েছে আমাকে, কিন্তু এটা ছিল আলাদা। এটি ছিল জনগণের মতামতকে ছোট করা, তার ওপর আক্রমণ এবং অবদমন। আর আমার মনে হয়, এ কারণেই স্পিকার আবার ফিরে এসে নিজের কাঠের হাতুড়িটি হাতে তুলে নিয়ে অধিবেশন চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এরপর আমাকেও সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল যে আমি আবার চেম্বারে ফিরে যেতে চাই কিনা। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি যাবো, কারণ এর ফলে একটি বার্তা যাবে যে "আপনি একটি গোষ্ঠিকে উস্কে দিতে পারেন, কিন্তু আমাদের যা করার আমরা করে যাবো"। আমার মনে হয় যে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক বার্তা। •জেসিকা লাসেনহপকে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছিল সেভাবেই তুলে ধরা হলো। তবে বোঝার সুবিধার জন্য কিছু এডিট করা হয়েছে। | Jamie Stiehm is a US political columnist who was in the Capitol building in Washington DC when it was stormed by pro-Trump rioters. Here's what she saw from the press gallery in the House of Representatives. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | শুক্রবার একটি ঘোষণায় ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বার্থে তারা শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইস্পাত আর অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ওয়াশিংটন উচ্চ শুল্ক হার বসানোর পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে ভারত এই নতুন শুল্ক হার ঘোষণা করলো। এ মাসের শুরুর দিকে ভারতের ওপর থেকে অগ্রাধিকার বাণিজ্যিক সুবিধা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছরের জুন মাসে প্রায় ১২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক হার বসানোর ঘোষণা দিয়েছিল ভারত, কিন্তু দুই দেশের বাণিজ্যিক আলোচনার কারণে সেটি কার্যকর হয়নি। তবে শুক্রবার একটি ঘোষণায় ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনস্বার্থে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানে ২৯টি পণ্যের নাম থাকলেও একটি বাদ দেয়া হয়েছে। আরো পড়ুন: চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: জুতার দাম যেভাবে বাড়বে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ভারতীয় পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিএসপি সুবিধা পেয়ে আসছিল, যা সম্প্রতি তুলে নেয়া হয়। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অন্যায্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক চলছে দাবি করে ট্রাম্প প্রশাসন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, এটি তারই সর্বশেষ ব্যবস্থা। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। গতবছর অ্যালুমিনিয়াম আর ইস্পাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতও একগাদা আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ভারত যদি ইরান থেকে তেল কেনে আর রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল কেনার পরিকল্পনা অব্যাহত রাখে, তাহলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। ভারতের সর্বশেষ এই ঘোষণা এলো এমন সময় যখন আর কয়েকদিনের মধ্যে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে জাপানে জি২০ সামিটে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যন্য খবর: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যত আলোচিত বিষয় মুখ্যমন্ত্রী দাবী মানার পরও ধর্মঘটে অনড় ডাক্তাররা বিয়ের রাতে এক নারীর দুর্বিষহ যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা | India has said that, from Sunday, it will impose tariffs on 28 US products, including almonds and apples. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | চীন-মার্কিন সম্পর্ককে গত শতকের মার্কিন-সোভিয়েত সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা কতটা যথাযথ? আলাস্কায় এই বৈঠকে চীনা কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তারা চীনের ওপর আক্রমণ চালাতে অন্য দেশগুলোকে উস্কানি দিচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা অভিযোগ করেছে চীন যা কিছুই করছে তা লোক-দেখানো। এই দুই পরাশক্তির সম্পর্ক খুবই তিক্ত হয়ে পড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন যে ব্যবহার করছে, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় সেরকম বিতর্কিত বিষয়গুলো তুলতে চায় বলে অঙ্গীকার করেছে। আলাস্কার অ্যাংকোরেজ শহরে এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান। চীনের পক্ষে আলোচনায় যোগ দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। আলোচনার শুরুতেই উদ্বোধনী বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার ব্লিনকেন একদম সোজা-সাপ্টা ভাষায় বলেন, "চীনের বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার গভীর উদ্বেগ এই আলোচনায় আনবে, বিশেষ করে শিনজিয়াং, হংকং, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা এবং মার্কিন মিত্রদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের বিষয়গুলো।" আর এর জবাবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই অভিযোগ করেন যে ওয়াশিংটন তার সামরিক পরাক্রম এবং অর্থনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে অন্যদেশকে দমিয়ে রাখতে। তিনি বলেন, "জাতীয় নিরাপত্তার তথাকথিত ধারণার অপব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক বাণিজ্যিক লেন-দেনে বিঘ্ন তৈরি করছে এবং অন্যকিছু দেশকে উস্কানি দিচ্ছে চীনের ওপর হামলা করার জন্য।" ১৯৬১ সালে সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকারের অবস্থা এখন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের বধ করা হচ্ছে। গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমের সামনে যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের কর্মকর্তাদের এই উত্তপ্ত বাদানুবাদ চলেছে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-আশারের ভাষায় এটি "অস্বাভাবিক রকমের এক অ-কূটনৈতিক বিবাদ।" আর এটি ঘটেছে এমন এক বৈঠকে যেখানে কিনা এক নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের আমলে দুপক্ষের সম্পর্ক নতুন করে ঝালাই করার কথা। নতুন শীতল যুদ্ধ? যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বহু বছর ধরে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই সম্পর্ক আরও বাজে দিকে মোড় নিচ্ছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান তার বর্তমান দায়িত্ব পাওয়ার আগে ফরেন এফেয়ার্স ম্যাগাজিনে কুর্ট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে মিলে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। মিস্টার ক্যাম্পবেল এখন জো বাইডেনের এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা। এই নিবন্ধে তারা বলেছিলেন, "চীনের সঙ্গে মিলে-মিশে কাজ করার যে নীতি যুক্তরাষ্ট্র এতদিন অনুসরণ করেছে, তার অনানুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘনিয়ে এসেছে।" চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এখন এক নতুন "শীতল যুদ্ধ" বলে বর্ণনা করা হচ্ছে প্রায়শই। কিন্তু আসলেই কি তাই? বিবিসির কূটনৈতিক বিশ্লেষক জনাথান মার্কাস এই সম্পর্কের নানা দিক বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করেছেন, বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্কে যেভাবে গোটা বিশ্বে ছায়া ফেলেছিল, এখানেও তাই ঘটতে যাচ্ছে কিনা। তিনি বলছেন, ওয়াশিংটন এবং বেইজিং এর সম্পর্ককে কীভাবে চিত্রিত করা হবে, সেটার অনেক গুরুত্ব আছে। "ঐতিহাসিক তুলনা অনেক সময় বিকল্প পথ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে, পটভূমি এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বুঝতে সাহায্য করে। তবে অনেকে মনে করেন, এ থেকে উল্টো ফলও হতে পারে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঠিক একইভাবে ঘটে না। সেখানে আসলে মিলের চেয়ে অমিলই বেশি দেখা যেতে পারে।" যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রে আছে ফাইভ-জির মতো প্রযুক্তি জনাথান মার্কাস লিখেছেন, "শীতল যুদ্ধের" মানে যদি হয় এমন এক আসুরিক লড়াই যেখানে দুটি বৈরি রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরস্পরের বিরুদ্ধে পুরো জাতীয় শক্তি দিয়ে লড়ছে, তাহলে বলতে হয় চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে মার্কিন-সোভিয়েত সংঘাতের প্রতিধ্বনি আছে। বাইডেন প্রশাসনের অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কৌশল এ মাসের শুরুতে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আরও দৃঢ়প্রত্যয়ী চীনই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী যারা তাদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তি দিয়ে একটি স্থিতিশীল এবং মুক্ত বিশ্ব-ব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। কাজেই হোয়াইট হাউসে নতুন বাইডেন প্রশাসনের মন্ত্র হচ্ছে- যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই চীনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দাও, আর যেখানে সম্ভব সেখানে সহযোগিতা করো। অন্যদিকে চীনও যেন একই ধরণের অবস্থান নিয়েছে। তারা একদিকে গঠনমূলক সম্পর্কের কথা বলছে। অন্যদিকে তাদের নিজেদের স্বার্থের বেলায় আরও শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। হংকং-এ গণতন্ত্র শক্ত-হাতে দমন করছে, সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে নির্লজ্জ ব্যবহার করছে, যাকে কিনা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন 'গণহত্যা' বলে বর্ণনা করেছেন। মার্কিন ব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরতে কোন সুযোগই বেইজিং হাতছাড়া করে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় যে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন সমালোচনার সুযোগ বেইজিং লুফে নিয়েছিল। এরপর যখন ট্রাম্পের শাসনের শেষ বেলায় ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনে হামলা হলো, সেটাকেও বেইজিং নিজেদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যে শ্রেষ্ঠতর, তা তুলে ধরতে ব্যবহার করেছে। জনাথান মার্কাস লিখেছেন, "তাই ওপর থেকে দেখতে গেল এই "শীতল যুদ্ধের" তকমা হয়তো যথার্থ মনে হতে পারে। কিন্তু একে শীতল যুদ্ধ বললে সেটা বাস্তবে কতটা কাজে লাগবে? সোভিয়েত-মার্কিন শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তাদের মিত্র দেশগুলো বিশ্ব অর্থনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল, তাদের দেশগুলোতে রপ্তানির ওপর নানা রকমের নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু চীনের বেলায় কিন্তু ব্যতিক্রম। চীন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক অপরিহার্য অংশ। আর তাদের অর্থনীতি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে।" মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধে প্রযুক্তির একটা ভূমিকা ছিল- যুদ্ধাস্ত্র এবং মহাকাশে অভিযান নিয়ে দুই পক্ষ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়েছিল। নতুন চীন-মার্কিন দ্বন্দ্বেও প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে। তবে এখানে যেসব প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে যা ভবিষ্যতে আমাদের সমাজের ভোল পাল্টে দেবে, যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা ফাইভ-জি। জনাথান মার্কাস বলছেন, এবারের বিশ্ব প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। গত শতকের শীতল যুদ্ধের সময় বিশ্ব দুটি শিবিরে বিভক্ত ছিল, তার বাইরে ছিল আবার জোটনিরপেক্ষ শিবির (তবে মার্কিনীরা সবসময় মনে করতো এই জোটনিরপেক্ষ দেশগুলো আসলে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি সহানুভূতিশীল)। কিন্তু এখন বিশ্ব অনেক বেশি মেরুতে বিভক্ত। তবে এখনকার বিশ্বে উদারনৈতিক ব্যবস্থা যেরকম হুমকির মুখে পড়েছে, সেটা আগে কখনো দেখা যায়নি। এর ফলে চীন তাদের নিজস্ব বিশ্ব-ভাবনা পুরো দুনিয়ার ওপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য অনেক বেশি জোর পাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন শি জিনপিং কে মোকাবেলায় কি কৌশল নেবেন? জনাথান মার্কাস বলছেন, চীন-মার্কিন বৈরিতাকে শীতল যুদ্ধের মডেলে দেখা বেশ বিপদজনক। "শীতল যুদ্ধ ছিল এমন রাজনৈতিক লড়াই, যেখানে কোন পক্ষই অন্য পক্ষের বৈধতাকে স্বীকার করেনি। যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে যে প্রক্সি-যুদ্ধ হয়েছে, তাতে বিপুল প্রাণহানি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এক পক্ষই আসলে পরাজিত হয়েছে। সোভিয়েত ব্যবস্থা আসলে ভেসে গেছে ইতিহাসের স্রোতে। কাজেই অনেকের আশংকা হচ্ছে, চীন-মার্কিন বৈরিতাকে এরকম আদর্শগত বিচারে দেখলে হিসেবে ভুল করবে দু'পক্ষই। আর এর ফলে চীন হয়তো পরাজয় এড়াতে অনেক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির ঝুঁকি পর্যন্ত নিতে পারে। অন্যদিকে, চীন আবার সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়। তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন বেশ ভালো অবস্থায়, তখনো তাদের জিডিপি ছিল মার্কিন অর্থনীতির তুলনায় মাত্র ৪০ শতাংশ। কিন্তু এক দশকের মধ্যেই চীনা অর্থনীতি মার্কিন অর্থনীতির সমান হয়ে যাবে। উনিশ শতক হতে আজ পর্যন্ত চীনের মতো কোন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। কাজেই চীন-মার্কিন সম্পর্ক এমন এক বিষয়, যেটিকে আগামী কয়েক দশক ধরে হয়তো মানিয়ে চলতে হবে। এটি কোন দ্বিতীয় শীতল যুদ্ধ নয়, তার চেয়েও বিপদজনক কিছু। চীন এরই মধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী। যদিও এখনো তারা গ্লোবাল সুপার-পাওয়ার হয়ে উঠেনি, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যেসব বিষয়কে চীন জরুরী বলে মনে করে, সেরকম অনেক ক্ষেত্রে সামরিকভাবে তারা এরই মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য চীন এক বিরাট এবং জটিল সমস্যা। চীন নিয়ে তার পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্যে অনেক পরস্পরবিরোধী ব্যাপার আছে। একদিকে যখন জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা বা এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য চীনের সহযোগিতা দরকার, তখন ন্যায্য বাণিজ্যের নিয়মনীতি মেনে চলা বা গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের জন্য তাদের ওপর একই সঙ্গে চাপ প্রয়োগের কাজটি কীভাবে করা সম্ভব? আরও পড়ুন: চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব কি পরিণতি ডেকে আনতে পারে? তাইওয়ানে চীন অভিযান চালালে কী করবে যুক্তরাষ্ট্র? তাইওয়ানে চীন অভিযান চালালে কী করবে যুক্তরাষ্ট্র? চীনের উত্থান বা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা যে পড়তির দিকে- সেই কথাটি হয়তো বহু ব্যবহারে জীর্ণ, কিন্তু এর মধ্যে একটা সত্য আছে। তবে এটাই পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয়। ট্রাম্পের আমলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা থেকে কি যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তার গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবে? যুক্তরাষ্ট্র কি তার মিত্রদের আশ্বস্ত করতে পারবে যে বিশ্ব মঞ্চে তারা এখনো এক নির্ভরযোগ্য শক্তি? যুক্তরাষ্ট্র কি তার নিজস্ব শিক্ষা এবং প্রযুক্তির ভিত্তি দ্রুত সম্প্রসারিত করতে পারবে? বেইজিং অনেক দিক থেকেই ওয়াশিংটনকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। কিন্তু চীনের স্বৈরতান্ত্রিক বিচ্যুতি কি তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পারে? যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে আসবে, জনসংখ্যার গড় বয়স বাড়বে, তখন কীভাবে দেশটি এর মোকাবেলা করবে? আর কমিউনিস্ট পার্টিই বা আর কতদিন মানুষের বিশ্বাস এবং সমর্থন ধরে রাখতে পারবে? চীনের অনেক শক্তি আছে, আবার দুর্বলতাও কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রেরও অনেক দুর্বলতা, কিন্তু সেগুলো কাটিয়ে উঠার মতো গতিশীলতা এবং নিজেকে পুনরাবিষ্কারের সক্ষমতা তাদের আছে। কোভিড-১৯ মহামারী দেখিয়ে দিয়েছে যে, চীনে যা ঘটে, তা চীনে আটকে থাকে না। চীন এখন এমন এক বিশ্ব শক্তি, যা আমাদের সবার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই প্রস্তত হোন, এটি এক বন্ধুর যাত্রা। আর এই যাত্রা কেবল শুরু হচ্ছে মাত্র। | US and Chinese officials have exchanged sharp rebukes in the first high-level talks between the Biden administration and China, taking place in Alaska. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | "রাজপরিবারের কেউ কি আছে যে রাজা বা রানী হতে চায়? আমার মনে হয় না" নিউজউইক-কে বলেছেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি এটাও বলেছেন রাজপরিবারের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন "জনগণের বৃহত্তর কল্যাণের কথা ভেবে"। প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের বিষয়েও কথা বলেছেন প্রিন্স হ্যারি। তাঁর মতে, মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর শেষযাত্রার অনুষ্ঠানে কফিনের পেছনে সন্তানদের হেঁটে যাওয়ার বিষয়টি একদমই সঠিক ছিল না। প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, '১২ বছরের শিশুকে এমনটা করতে বলা মোটেও ঠিক কিছু নয়"। ১৯৯৭ সালের ৩১শে আগস্ট প্রিন্সেস ডায়ানা এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর মৃত্যুর কয়েকদিন পর তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে যোগ দিয়েছিলেন রাজপরিবারের সকল সদস্য। প্রিন্স হ্যারি তাঁর বাবা, দাদা, ১৫ বছর বয়সী ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর চাচাদের সাথে লন্ডনের রাস্তা ধরে কফিনের পেছনে পেছনে হেঁটেছিলেন। শেষকৃত্যের ওই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল যা দেখেছিল বিশ্ববাসী। সাক্ষাৎকার প্রিন্স হ্যারি বলেছেন মায়ের মৃত্যুর শোক কাটাতে তাঁকে কাউন্সিলিং-ও নিতে হয়েছিল। "আমার মা মাত্র মারা গেছেন আর তার কফিনের পিছনে পিছনে দীর্ঘসময় ধরে আমাকে দীর্ঘসময় ধরে হাঁটতে হলো! আমার আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ। টেলিভিশনে আমাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখছে"। "আমার মনে হয় না কোনো শিশুকে কোনো ধরনের পরিস্থিতিতেই এমন কিছু করতে বলা উচিত"-মার্কিন ওই ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন প্রিন্স হ্যারি। আরো পড়ুন: ঈদ: তারিখ জানতে চাঁদের জন্য অপেক্ষা কেন প্রিন্সেস ডায়ানার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারি তার ভাই ও বাবার সাথে রাজপরিবার সংক্রান্ত বিবিসির সংবাদদাতা পিটার হান্টের মতে প্রিন্স হ্যারির এই সাক্ষাৎকারটি অনেকের মনেই সমবেদনা জাগাবে যে একজন প্রিন্স তাঁর মায়ের মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, অন্যদিকে অনেকের মনে প্রশ্নও জাগাবে। রাজপরিবারের একজন সদস্য বলছেন যে রানীর উত্তরাধিকারীদের বিশেষ সুযোগসুবিধা নিতে হয়, তারা নাই চাইলেও সেটি নিতে হয়-এ বিষয়টিও অনেকের মনে প্রশ্ন জাগাবে বলে মনে করছেন পিটার হান্ট। যদিও প্রিন্স হ্যারি বলেছেন যে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থেই রাজপরিবারের সদস্যরা কাজ করেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের একটি অংশই শিরোনামে আসছে, ডেইলি মেইলও শিরোনাম করেছে "হ্যারি: রাজপরিবারের কেউ রাজা-রানী হতে চায় না"। মা প্রিন্সেস ডায়ানার শেষকৃত্য নিয়ে কথা বলার কারণে প্রিন্স হ্যারি কিছুটা নিরাপদে থাকলেও তার পরিবারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এত ছোট বয়সী একটা শিশু হাজার হাজার মানুষের সামনে তার মায়ের কফিনের পেছনে হাঁটবে এটা সেই শিশুর মনে দাগ কাটবে- ১৯৯৭ সালের সেদিনই রাজপরিবারের এ বিষয়টা বুঝতে পারা উচিত ছিল। তাছাড়া প্রিন্স হ্যারি তাঁর দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে একবারও তাঁর বাবার প্রসঙ্গ আনেনি-এটাও অনেকের কাছে ভাবনার বিষয় হবে বলছেন বিবিসির সংবাদদাতা পিটার হান্ট। প্রিন্স হ্যারি মার্কিন ওই ম্যাগাজিনিকে বলেছেন ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের আধুনিকীকরণে তিনি কাজ করছেন। "বিষয়টা অনেক জটিল। কৌশলগতভাবে ভারসাম্য বজায় রাখাটা আসলেই কষ্টকর। রাজপরিবারের সদস্যরা সাধারণ মানুষ ও বিশ্বাবাসীর সামনে নিজেদের হালকা দেখাতে চায় না"। প্রিন্সেস ডায়ানা যে হ্যারি ও উইলিয়ামকে সাধারণ মানুষের জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন সেটারও প্রশংসা করেন প্রিন্স হ্যারি। দুই ভাই সাধারণ জীবন যাপন করতেন যা জানলে লোকে অবাক হবে। এখনও তিনি তেমনটাই করার চেষ্টা করেন বলে জানান প্রিন্স হ্যারি। "আমি নিজেই নিজের কেনাকাটা করি। যদিও মাঝেমধ্যে একটু চিন্তাও হয় এই ভেবে যে কেউ তার মোবাইলে আমার ছবি তুলে ফেললো কিনা। তবে আমি তুলনামুলক সাধারণ জীবন যাপন করছি। আমার সন্তান হলে তাদেরও তেমনটা করতে উদ্বুদ্ধ করবো"। "এমনকি আমি যদি রাজাও হই, নিজের কেনাকাটা আমি নিজেই করবো"- বলেন প্রিন্স হ্যারি। আরো পড়ুন: ভারতের বাজারে কেন ছুটছে বাংলাদেশীরা? সৌদি আরবের নতুন যুবরাজ সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য ধ্বংস করে দেয়া হলো বিখ্যাত আল-নূরি মসজিদ আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন | No-one in the Royal Family wants to be king or queen, Prince Harry has told a US magazine, but adds: "We will carry out our duties at the right time." |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ইচ্ছের কথা জানিয়ে বলেছেন তখনও কামালা হ্যারিসকেই তার রানিং মেট হিসেবে রাখতে চান। বয়স এবং শারীরিক অবস্থার কারণে মি. বাইডেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবেন কিনা এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল। একই সাথে এ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসীদের ঢল, পররাষ্ট্র নীতি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। মিস্টার বাইডেন বলেন করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে তার প্রশাসনের লক্ষ্য হলো প্রথম একশ দিনের মধ্যে বিশ কোটি টিকা দেয়া। এর আগে শুরুতে প্রথম একশ দিনে দশ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা দেশটি ইতোমধ্যেই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অবশ্য এ সংবাদ সম্মেলনের বেশিরভাগ অংশজুড়েই ছিলো যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত ইস্যু। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তপ্ত বিতণ্ডা: নতুন ঠাণ্ডা লড়াইয়ের শুরু? 'তলাবিহীন ঝুড়ি' থেকে যেভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকে যেভাবে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস শেখ মুজিবকে যেদিন পাকিস্তানের কারাগারে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয় মোদীর সফর ঘিরে হঠাৎ আলোচনায় ওড়াকান্দি - কারা এই মতুয়া সংবাদ সম্মেলনের দৃশ্য ওই সীমান্তে মানবিক সংকটের জন্য তিনি তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন এবং বলেন ওই সীমান্তে শীতের সময়ে অভিবাসী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। এসব অভিবাসীদের আসার জন্য তিনি তাদের দেশের অবস্থা বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অপরাধ ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবকেও দায়ী করেন। কখন তিনি সাংবাদিকদের জন্য সরকার পরিচালিত ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো উন্মুক্ত করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার বাইডেন বলেন তিনি এ বিষয়ে স্বচ্ছতা দেখাবেন। "সবকিছুতেই আপনাদের প্রবেশাধিকার থাকবে", বলেন তিনি। যদিও কবে নাগাদ সেটি হবে তার কোন সময়সীমা তিনি উল্লেখ করেননি। সতের হাজারেরও বেশি শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিচালিত এসব ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। চলতি বছর বিশে জানুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন জো বাইডেন আফগানিস্তান ও চীন প্রসঙ্গ প্রশ্ন ছিলো যে পহেলা মে'তে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের যে অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্র করেছে সেটি তিনি রক্ষা করবেন কিনা। জবাবে মিস্টার বাইডেন স্বীকার করেন যে সময়সীমা রক্ষা করা হবে খুব কঠিন কাজ। "আমরা ছেড়ে আসবো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কখন ছাড়বো। কিন্তু আমরা দীর্ঘ সময় থাকবো না"। সংবাদ সম্মেলনে চীনের সাথে চলা বাকযুদ্ধের বিষয়টিও উঠে এসেছে। তবে জো বাইডেন বলছেন, "আমি কোন সংঘাত চাইছি না"। তবে তিনি দেশটির নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সামনের দিনগুলোতে তিনি অভিবাসন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ভোটাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে রিপাবলিকানদের সাথে একযোগে কাজ করবেন। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন যে সামনে অগ্রাধিকার পাবে অবকাঠামো নির্মাণ বিল কারণ বাইডেন প্রশাসন মনে করে এ বিষয়ে কিছু রিপাবলিকান আইন প্রণেতার সমর্থন পাওয়া যাবে। | US Vice-President Joe Biden has announced he will not run for the Democratic nomination in the 2016 White House race. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ফেসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গ, "ট্রাম্প বলেছেন ফেসবুক তাঁর বিরোধী। উদারপন্থীরা বলছেন আমরা ট্রাম্পকে সাহায্য করছি"। এক টুইট বার্তায় গতকাল বুধবার মি: ট্রাম্প বলেছেন, "ফেসবুক সবসময় ট্রাম্প-বিরোধী। সামাজিক মাধ্যমগুলোই ট্রাম্প-বিরোধী, ভুয়া বার্তা দেয়। এমনকি নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টও ট্রাম্প-বিরোধী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তাহলে কি সব যোগসাজশ?" সামাজিক মাধ্যম নিয়ে এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মি: জাকারবার্গ বলেন, রাজনীতির দুই পক্ষই ফেসবুকের নানা কিছু নিয়ে হতাশ হয়েছে কারণ এগুলো তাদের পক্ষে ছিলো না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থীরাও তাকে মিস্টার ট্রাম্পকে সহায়তার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া যে হস্তক্ষেপ করেছে তাতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। আরো পড়ুন: 'এখন আর বংশালের লোকজন অদ্ভুত চোখে তাকায় না' আর মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক আইনপ্রণেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খবু শিগগিরই এই তদন্ত কর্মকর্তাদের সাইটটিতে প্রদর্শিত তিন হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন জমা দেবে। ফেসবুক মনে করছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ও পরে ওই বিজ্ঞাপনগুলোতে অর্থায়ন করেছে রাশিয়ার কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে আগামী ১লা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও গুগলকে। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বাংলার আরো খবর: হেমায়েতপুরে ট্যানারি কি আরেকটি হাজারীবাগ হবে? মেজাজ ভালো থাকলেই শুধু ফ্লুয়ের টিকা কাজ করে? একটি ভ্রমণ কাহিনী ও রোহিঙ্গা আদি নিবাস বিতর্ক | Facebook founder Mark Zuckerberg has dismissed comments made by Donald Trump that the site has always been against him. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | বেশ কিছু ধরণের কীটনাশকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা জাতিসংঘ এইসব পণ্যের সহজে পাওয়ার ব্যবস্থা কমাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে। প্রায় দুই দশক ধরে শ্রীলঙ্কা ধীরে ধীরে বেশকিছু কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছে এবং দেখা গেছে আত্মহত্যায় মৃত্যুর পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে সেখানে। তবে অন্যান্য দেশে আত্মহত্যায় ব্যবহার করা হয় এমন বেশিরভাগ বিষাক্ত কীটনাশক এখনো সহজলভ্য। ১৯৯০ এর সময় থেকে সারা বিশ্বে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার সংখ্যা কমে প্রায় অর্দ্ধেকে নেমে এলেও এশিয়ার দারিদ্রপীড়িত গ্রামাঞ্চলে এখনও এটি মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ১৯৮০ এবং ৯০-এর দশকে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বেশি আত্মহত্যার হার ছিল শ্রীলঙ্কায়। আর তার মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই ছিল কীটনাশক পান করে। তবে, এসব পণ্য নিষিদ্ধকরণে দুই দশকের বেশী সময় ধরে দেশটির সরকারের নেয়া পদক্ষেপের ফলে সামগ্রিক আত্মহত্যার হার হ্রাস পেয়েছে ৭০%। কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা মানুষের সংখ্যা এখনো কমেনি, বরং হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে। এতে প্রমাণ হয় যে, আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষের সংখ্যা কমেনি, তবে সেসব কীটনাশক কম বিষাক্ত ছিল। কৃষিক্ষেত্রের জন্যে কীটনাশকের প্রতিস্থাপনে এসেছে কম বিষাক্ত কীটনাশক। অত্যন্ত বিপদজনক কীটনাশকের নিরাপদ বিকল্পের ব্যবহারে কৃষির ফলন কম হয়েছে এমন প্রমাণ বেশি পাওয়া যায়নি, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। এই সময়ে অবশ্য স্বাস্থ্য সেবার মানও উন্নত হয়েছে। ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে আত্মহত্যা করে মারা গেছে ১,৩৪,০০০ জন মানুষ। যার মধ্যে কীটনাশকের কারণে মারা গেছে ২৪ হাজার। ভারতের আত্মহত্যার জন্য অন্যতম প্রধান হাতিয়ার কীটনাশক যদিও এই মৃত্যুগুলি দেশটিতে সেভাবে উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের চন্ডীগড় মেডিকেল এডুকেশন এন্ড রিচার্স ইন্সটিটিউটের ডা. আশীষ ভাল্লা বলছেন, সাধারন মানুষ প্রায়শই আত্মহত্যার বিষয়টিকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করার ভয়ে লুকিয়ে রাখে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিশ্লেষক দেখেছেনে যে, ভারতে নিবন্ধিত কীটনাশকের মধ্যে অন্তত দশটি অত্যন্ত বিষাক্ত। আর সেগুলোই অধিকাংশক্ষেত্রে আত্মহত্যায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসবের অনেকগুলোই ভারত সরকার নিষিদ্ধ করছে বা ২০২০ সালের মধ্যে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার নির্দেশিকা অনুযায়ী এখনো এক ডজনেরও বেশি অত্যন্ত বিপজ্জনক কীটনাশক সহজলভ্য রয়ে গেছে। এশিয়ার অন্য অঞ্চলগুলোর কি অবস্থা? ২০০০ সালের পর থেকে একই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বাংলাদেশেও। এর ফলে হ্রাস পেতে শুরু করেছে আত্মহত্যায় মৃত্যুর হার। তবে কীটনাশক-বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১২ সালে একধরনের অত্যন্ত বিষাক্ত আগাছানাশক নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে কীটনাশক-বিষক্রিয়াজনিত আত্মহত্যার সংখ্যা হ্রাস পায় তাৎক্ষণিকভাবেই। আর সামগ্রিক মৃত্যুহার হ্রাসেও এটি প্রভাব ফেলে। ২০০৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চীনে চালানো এক সমীক্ষায় দেখা যায়, সেখানে আত্মহত্যার সংখ্যা কমেছে এবং কীটনাশক পানে মৃত্যুর হার অত্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। এর কারন হিসেবে উল্লেখ করা যায়- এ বিষয়ে দেশটিতে কঠোর বিধি নিষেধ প্রয়োগ, কৃষিতে কমসংখ্যক মানুষের সংশ্লিষ্টতা, নগরায়ন বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং বিশেষ করে জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন। ২০০১ সাল থেকে ৫ বছরে ২১টি কীটনাশককে নিষিদ্ধ করেছে চীন। দেশটির কীটনাশক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের প্রধান ডা. দিল্লী শর্মা বলেন, এর মধ্যে কয়েকটি স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত কারনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে কয়েকটি বর্জন করা হয় বিশেষ করে আত্মহত্যায় ব্যবহারের কারনে। আরো খবর: সন্তান জন্মের পর মানসিক সমস্যায় ভোগেন পুরুষরাও যেভাবে গড়ে ওঠে দুর্ধর্ষ কিশোর অপরাধীদের দল মানিব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে আলোচিত রোমের বাংলাদেশি | An estimated 150,000 people take their own lives every year by ingesting pesticides. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | জার্মানির একটি গবেষণা বলছে, ক্যাথলিক চার্চে প্রায় ৭০ বছরে সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে প্রায় ৭০ বছর ধরে, ১৯৪৬ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত সময়ে এসব ঘটনা ঘটেছে। চার্চের নিজেদের করা তদন্তেই এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ২৫শে সেপ্টেম্বর ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির ১৬৭০ জন যাজক ৩৬৭৭ নাবালকের ওপর যৌন হামলা করেছেন। জার্মান সংবাদপত্র স্পিগেল অনলাইন এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এ প্রসঙ্গে চার্চের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ''এটি খুবই উদ্বেগের এবং অসম্মানজনক''। সারা বিশ্বের রোমান ক্যাথলিক চার্চে যে দশকের পর দশক ধরে যৌন নির্যাতনের ঘটনার তথ্য প্রকাশ হয়ে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় জার্মানির এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ৩৮ শতাংশ অভিযুক্ত নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে হালকা ধরণের শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অথচ প্রতিটি ছয়টি অভিযোগের মধ্যে একটি অন্তত ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে। নির্যাতনের শিকার বেশিরভাগই ছেলে শিশু, যাদের বয়স গড়ে ১৩ বছরের নীচে। অনেক সময় এসব নির্যাতনকারী নতুন এলাকায় কাজ করতে গিয়েছেন, যেখানে কাউকে তাদের আগের অপরাধের বিষয়ে কোন সতর্ক করা হয়নি। জার্মানির তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে চার্চের ওপর ওই অনুসন্ধানী গবেষণাটি করেছে। এর লেখকরা বলছেন, সত্যিকারের নির্যাতনের ঘটনা হয়তো আরো অনেক ব্যাপক, কারণ অনেক তথ্যই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বা বিকৃত করা হয়েছে। ক্যাথলিক চার্চ কি বলছে? জার্মান বিশপদের একটি সম্মেলনে চার্চের মুখপাত্র বিশপ স্টিফান একেরমান বলছেন, এই গবেষণায় যেভাবে যৌন নির্যাতনের তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তাতে এটি খুবই উদ্বেগের এবং লজ্জাজনক। ''চার্চের অন্ধকার দিক বের করে আনা এবং নির্যাতনের শিকার মানুষদের জন্যই জন্য প্রতিকার গবেষণাটির মূল লক্ষ্য, সেই সঙ্গে আমরাও যাতে অতীতের ভুলগুলো দেখতে পারি এবং ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিতে পারি।'' আরও পড়তে পারেন: খ্রিস্টান যাজকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সরব সন্ন্যাসিনীরা 'এক পাদ্রী আমাদের নগ্ন হয়ে সাঁতরাতে বাধ্য করেন' কাশ্মীরে অনাথ আশ্রমে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ কেন আড়ালে থেকে যাচ্ছে বাংলাদেশে ছেলে শিশুদের উপর চালানো যৌন নির্যাতন? কিভাবে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশপদের একটি সম্মেলন ডেকেছেন পোপ ফ্রান্সিস এসব নির্যাতনের অভিযোগের ব্যাপারে চার্চ কি করছে? স্পিগেলের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি ভ্যাটিকান। তবে বুধবার অন্য একটি আয়োজনে কিভাবে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশপদের একটি সম্মেলন ডেকেছেন পোপ ফ্রান্সিস। সম্প্রতি বিশ্বের অনেক চার্চের যাজকদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এবং অভিযোগ রয়েছে যে, চার্চের নেতারা সেসব চেপে রেখেছেন অথবা গুরুত্ব দেননি। গত মাসে ভ্যাটিকানের সাবেক একজন কূটনৈতিক পোপ ফ্রান্সিসের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন যে, মার্কিন একজন কার্ডিনালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তিনি সেটি গুরুত্ব দেননি। যদিও এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পোপের সমর্থকরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যের রাজ্যে তিনশো জন যাজকের হাতে ১ হাজারের বেশি শিশু নির্যাতনের ঘটনার তথ্য বেরিয়ে আসে। তদন্তকারীরা দেখতে পেয়েছেন, এসব তথ্য জানার পরেও চেপে রেখেছিল চার্চ। এরপর বিশ্বের রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে শিশু নির্যাতনের ঘটনাটিকে 'বর্বরতা' বলে বর্ণনা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: আইফোন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডিসপ্লে নিয়ে নতুন সেট যৌনতার বিনিময়ে বাড়ি ভাড়া দিতে চান বাড়ি মালিক ছিনতাইকারী ধরে পুরস্কার পেলেন ঢাকার যে তরুণী | More than 3,600 children in Germany were assaulted by Roman Catholic priests between 1946 and 2014, a leaked report has revealed. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ট্রেসটুগেদার টোকেন স্মার্টফোন অ্যাপের বাইরে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংএর বিকল্প একটি ব্যবস্থা। সরকার স্মার্টফোনে ব্যবহার করার যে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ চালু করেছে নতুন এই ব্লুটুথ যন্ত্রটি তার বিকল্প একটি ব্যবস্থা। এটি 'ট্রেসটুগেদার' নামে একটি টোকেন ব্যবস্থা। যাদের স্মার্টফোন নেই বা যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্য নতুন এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। স্মার্টফোনে এই অ্যাপ ব্যবহার করলে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা যাবে কিনা, তা নিয়ে কোন কোন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর নতুন এই যন্ত্রটি চালুর ঘোষণা করা হয়েছে। এই যন্ত্রের প্রথম ব্যাচটি দেয়া হচ্ছে সেইসব বয়স্ক ব্যক্তিদের যারা ঝুঁকিতে এবং যাদের পরিবারের কেউ তাদের দেখাশোনার জন্য নেই অথবা যাদের চলাফেরার অসুবিধা রয়েছে। এই টোকেনে প্রত্যেক টোকেনধারীকে চিহ্ণিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোড বা সঙ্কেত থাকবে এবং এই টোকেন যন্ত্রে চার্জ দেয়ার প্রয়োজন হবে না। এটির ব্যাটারি কাজ করবে নয় মাস পর্যন্ত। এই যন্ত্র ব্লুটুথের মাধ্যমে আশেপাশে টোকেন বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে 'ট্রেসটুগেদার' ব্যবহার করছে এমন ব্যক্তিদের সিগনাল ধরবে। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে এমন কেউ আশেপাশে আছে বলে এই যন্ত্র যদি ধরতে পারে, তাহলে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং কর্মকর্তা যন্ত্র ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে সতর্ক করে দেবে। আশপাশের কারও সংস্পর্শে আসার কারণে সেই ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়, তাহলে ওই টোকেন থেকে সেই তথ্য ডাউনলোড করা হবে। ব্যবহারকারীদের বক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন নিয়ে উদ্বেগ মন্ত্রীরা ইতোমধ্যেই নাকচ করে দিয়েছেন। তারা যুক্তি দিয়েছেন যে, মানুষের গতিবিধির ওপর নজরদারি করার লক্ষ্যে এই যন্ত্র তৈরি করা হয়নি। সিঙ্গাপুর সরকার বলেছেন যে তথ্য এই টোকেন সংগ্রহ করবে তা বিশেষভাবে সুরক্ষিত রাখা হবে এবং সর্বোচ্চ ২৫দিন তা ওই টোকেনে মজুত রাখা হবে। সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের বড় অংশটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দা কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে যে এই তথ্য দূর থেকে কেউ সংগ্রহ করতেও পারবে না কারণ এই টোকেনে কোন ইন্টারনেট যোগাযোগ নেই বা সেলফোনের মত যান্ত্রিক সক্ষমতাও এর নেই। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: সিঙ্গাপুরে এতো বাংলাদেশি শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন কেন? করোনাভাইরাস: সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতা কি বাকি বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে? সংক্রমণ রোধে যেভাবে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দারা অর্থনীতি আবার চালু সরকার বলেছে এই টোকেনে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস ব্যবস্থা থাকছে না। ফলে আপনি কোন জায়গায় আছেন তা এই টোকেন নির্ধারণ করতে পারবে না। সিঙ্গাপুর সরকার বলছে মার্চ মাসে তারা স্মার্টফোনে ব্যবহারযোগ্য ট্রেসটুগেদার অ্যাপটি চালু করার পর প্রায় ২১ লাখ মানুষ এটি ডাউনলোড করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে সিঙ্গাপুরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যেহেতু আবার খুলে দেয়া শুরু হয়েছে, ব্যবসাবাণিজ্য দোকানপাট আবার খুলছে তাই ট্রেসটুগেদার কর্মসূচি যাতে আরও বিস্তৃতভাবে ব্যবহার করা হয়, যাতে সমাজের সব স্তরের মানুষ এতে আরও ব্যাপকভাবে অংশ নিতে পার, সেটা তারা নিশ্চিত করতে চায়। এ মাসের গোড়ায় সিঙ্গাপুর সরকার জরুরি নয় এমন দোকান খুলতে শুরু করেছে। রেস্তোরাঁ এবং পানশালাগুলোও সবে খুলেছে। পিসিআই নামে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি এই টোকেন তৈরি করেছে। তারা প্রথম দফায় তিন লাখ টোকেন তৈরি করেছে যার খরচ পড়েছে টোকেন প্রতি ২০ সিঙ্গাপুর ডলার। গতকাল রোববার সিঙ্গাপুরে নতুন করে ২১৩টি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১১জনের সংক্রমণ হয়েছে দেশের ভেতর থেকে। বাকি সবগুলো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে অভিবাসী শ্রমিকদের আবাসিক হস্টেলে। এর ফলে সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯এ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৩,৪৫৯। | Singapore has started to hand out Bluetooth-enabled contact tracing devices as part of its measures to slow the spread of the coronavirus. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | কারখানাটি শহরের জনবহুল ওল্ড কোয়ার্টার এলাকায় অবস্থিত রবিবার সকালে ৬ তলা কারখানাটিতে আগুন লাগে। এর পর পরই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌছায় দমকল বাহিনী। উদ্ধারকর্মীরা জানান, আগুন লাগার সময় বহুতল ভবনটিতে শ্রমিকরা ঘুমিয়ে ছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘটনাকে 'দুঃখজনক প্রাণহানি' বলে উল্লেখ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন,আগুন লাগার ঘটনা ভয়ংকর এবং ঘটনাস্থলে সব ধরণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সরু রাস্তার কারণে আহতদের একজন একজন করে বয়ে আনেন দমকল কর্মীরা রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ০৫:২২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় দমকল কর্মীরা। সদর বাজার নামে যেখানে কারখানাটি অবস্থিত সেটি শহরের সবচেয়ে বড় বাজারগুলোর একটি। এছাড়া অনেক গলি থাকার কারণে দমকল কর্মীদের সেখানে পৌঁছাতে দেরি হয়। আরো পড়ুন: পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে ভয়াবহ আগুন, ৭৩ জনের মৃত্যু ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কড়াকড়ি 'ভারত থেকে বাংলাদেশে গোপনে পুশব্যাক চলছে' "সকালে সাড়ে নয়টার মধ্যে অন্তত ৫৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়," হিন্দুস্তান টাইমসকে এ কথা বলেন দিল্লির ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অতুল গার্গ। "ধোঁয়ার কারণে সবাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল," তিনি বলেন। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি ফায়ার সার্ভিসের আরেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সুনীল চৌধুরী বলেন, স্কুলের ব্যাগ, বোতল এবং অন্যান্য দ্রব্যাদি মজুদ করে রাখা হতো ওই কারখানায়। আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত চলছে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: ভারতে ধর্ষণের শিকার আরেক নারীর গায়ে আগুন রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ১ টেক্সট মেসেজ যখন শিশুর জন্মের কারণ | A large fire has swept through a bag factory in the Indian capital Delhi, killing 43 workers, officials say. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | গত অগাস্ট মাসে রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা। সেনাবাহিনী বলছে, এক তদন্তে উঠে এসেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর চারজন সদস্য মংডুর কাছে ডিন গ্রামে দশজন মানুষকে হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, ওই সেনা সদস্যরা রোহিঙ্গাদেরকে 'বাঙ্গালি সন্ত্রাসী' আখ্যা দিয়ে তাদের ওপরে হিংসাত্মক হামলা চালাতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তা করেছিল। গত মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ডিন গ্রামে একটি গণকবরের ভেতর থকে ১০টি মাথার খুলি পাওয়ার পর সে বিষয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছিল। ওই তদন্ত শেষে উঠে আসা ফলাফল দেশটির সেনা কমান্ডার ইন চিফের ফেসবুক পাতায় দেয়া হয় এবং বলা হয় গত ২রা সেপ্টেম্বর ওই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, " এটা সদ্য যে গ্রামবাসী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উভয়পক্ষই স্বীকার করেছে যে তারা ১০জন 'বাঙ্গালি সন্ত্রাসী'কে হত্যা করেছে"। এতে আরও বলা হয় এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী । তবে সেখানে এও বলা হয় যে "এমন ঘটনা ঘটেছে কারণ সেখানে বৌদ্ধ সম্প্রদায় সন্ত্রাসীদের দ্বারা ভীত এবং প্ররোচিত হয়েছিল"। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের স্বীকারোক্তি বিরল। রাখাইনে জ্বালিয়ে দেয়া হয় রোহিঙ্গাদের আবাস মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে। গত অগাস্ট মাসে সেখানে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা। ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার বর্ণনা উঠে এসেছে তাদের কাছ থেকে। তাদের অভিযোগ স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সমর্থনে সেনাবাহিনী তাদের গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বহু বেসামরিক মানুষদের হত্যা করেছে। যদিও মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষ বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আরো পড়ুন: উত্তর রাখাইনে গণকবর পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে সু চি কি রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত হতে পারেন? মিয়ানমারে অন্তত ৬,৭০০ রোহিঙ্গাকে সহিংসভাবে হত্যা 'রাখাইনে ৪০টি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী' ইথিওপিয়া থেকে বিদেশে শিশু দত্তক নেওয়া বন্ধ রোহিঙ্গাদের সহিংস পন্থায় হত্যা | Myanmar's army has admitted for the first time its soldiers were involved in unlawfully killing Rohingya Muslims in recent violence in Rakhine state. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | নতুন পরিসংখান বলছে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ এরপরেই আছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদেরও মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যরকম বেশি। পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক বৈষম্য এর জন্য সম্ভবত দায়ী। বয়স, কোন্ এলাকায় কীভাবে তারা থাকে, সুযোগের অভাব এবং আগে থেকে থাকা স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা এসব আমলে নিয়েই তারা তাদের রিপোর্টটি তৈরি করেছে। তবে বিবিসির পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান রবার্ট কুফি বলছেন এতে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা হয়নি কেন তাদের ঝুঁকির মাত্রা এত বেশি। তাদের বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থার কথা এখানে আমলে নেয়া হয়নি। তারা ছোট জায়গায় অনেকে ঠাসাঠাসি করে থাকে সেটা কারণ কি না, অথবা তাদের কাজের ধরন এমন কি না যেখানে মানুষের সংস্পর্শে তাদের আসতে হয় বেশি, এসব বিষয়ে আরও বেশি তথ্যানুসন্ধান করা দরকার। পরিসংখ্যান দপ্তর অবশ্য বলছে তারা দেখেছে এইসব সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির লোক এমন পেশায় কাজ করেন যেখানে মানুষের সংস্পর্শে তাদের বেশি আসতে হয়, ফলে কাজ থেকে তাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলেই তারা মনে করছে। তবে তাদের পেশা ও ঝুঁকির সঙ্গে তার যোগসূত্র নিয়ে তাদের আরও গবেষণার পরিকল্পনা রয়েছে। হেলথ ফাউন্ডেশন নামে একটি গবেষণা সংস্থা বলছে লন্ডনে মোট কর্মী জনগোষ্ঠির ৩৪% কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়। লন্ডনে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়রা খাদ্যশিল্পে কাজ করে ৫৪%, স্বাস্থ্য ও কেয়ার খাতে ৪৮% এবং পরিবহনে ৪৪%। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস যেভাবে কেড়ে নিল এক বাংলাদেশির প্রাণ মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা এক বাংলাদেশি ডাক্তারের অভিজ্ঞতা ময়লা ফেলার ব্যাগ মাথায় দিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে ব্রিটেনের ডাক্তারদের 'আমিই ভেন্টিলেটার বন্ধ করছি আর রোগীর শেষ মুহূর্তে তাকে সঙ্গ দিচ্ছি’ ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কাজ করেন যারা তাদের একটা গরিষ্ঠ সংখ্যক সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির মানুষ ব্রিটেনে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়ে যারা মারা গেছে তাদের বেশিরভাগই লন্ডনের বাসিন্দা। আর লন্ডনের জনসংখ্যার ৪০% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (ওএনএস) এবং গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অফ ফিসকাল স্টাডিস (আইএফএস) দুটি প্রতিষ্ঠানই তাদের আলাদা আলাদা গবেষণায় দেখেছে এই ভাইরাসের প্রকোপ আনুপাতিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি পড়েছে সংখ্যালঘু বংশোদ্ভুতদের ওপরে। তবে আইএফএস গবেষকরা বলছেন এখানে ভৌগলিক অবস্থানের উল্টোদিকে রয়েছে বয়সের বিষয়টা। সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির মানুষদের বেশিরভাগেরই বয়স শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের থেকে কম। আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বয়সের বিবেচনায় তাদের তুলনামূলকভাবে কম। তাদের মতে এই দুটি ফ্যাক্টরকে বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সার্বিকভাবে বেশি, কারণ মোট জনসংখ্যায় বয়স্ক মানুষ শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যেই বেশি। এবংআক্রান্তের একটা বড় অংশ বৃদ্ধ জনগোষ্ঠি। ওএনএস অবশ্য তাদের গবেষণায় অন্য কিছু বিষয় নিয়ে এসেছে, যেমনটা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন স্বাস্থ্য, পেশা ও সুযোগ সুবিধার অভাবের বিষয়গুলো। আর এগুলো আমলে নিয়েই তাদের উপসংহার হল: ফয়সাল রিয়াজ ব্রিটেনের কভেন্ট্রিতে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন বিশ বছর। তার মত বহু এশিয় কাজ করেন পরিবহন পেশায়। পাঁচই মে পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয় এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির মানুষ মারা গেছে অন্তত ৩,৩৭৮। অর্থাৎ যাদের জাতিগত পরিচয় ২০১১-র আদম সুমারিতে নথিভুক্ত করা হয়েছিল, সেই তথ্য আমলে নিয়ে দেখা গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি এক লাখের হিসাবে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে মৃত্যুর হার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি। আর কৃষ্ণাঙ্গদের পরেই আছে এশিয়ানরা, যাদের মধ্যে সবার উপরে আছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। ইংল্যান্ড, ওয়েলস আর উত্তর আর্য়াল্যান্ডে নিবিড় পরিচর্যায় থাকা রোগীদের ওপর এক জরিপে আরও দেখা গেছে কোভিড নাইনটিন আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অবস্থা আশংকাজনক তাদের এক তৃতীয়াংশই এই জনগোষ্ঠির মানুষ। প্রায় ৭ হাজার রোগীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে। দুটি গবেষণা সংস্থাই বলেছে স্বাস্থ্য, পেশা ও জীবনযাপনের মানের সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকির সম্পর্ক থাকতে পারে বলেই তাদের বিশ্বাস। সাম্প্রতিক জরিপে যদিও এই জনগোষ্ঠির বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলাদাভাবে সমীক্ষা চালানো হয়নি, কিন্তু এই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে অতীতের গবেষণায় দেখা গেছে কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে স্থূলতা একটা বড় সমস্যা। আর কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ানদের মধ্যে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যা খুবই বেশি। এই সব স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়ার ঝুঁকির একটা যোগাযোগের কথা প্রায় প্রথমদিক থেকেই বলা হচ্ছে। এছাড়াও সাধারণভাবে অর্থাভাব ও সুযোগবঞ্চিত জনগোষ্ঠির ওপর এই করোনাভাইরাসের ধাক্কা বেশি মাত্রায় দেখা গেছে। এমনকী আক্রান্ত শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মধ্যেও বেশিরভাগই মারা গেছে দরিদ্র মানুষ। সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রায় এক তৃতীয়াংশ বাংলাদেশি পরিবারে অনেক সদস্য একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকেন। কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের মধ্যে এই হার ১৫%। সেখানে শ্বেতাঙ্গ পরিবারগুলোতে এই হার মাত্র ২%। ওএনএস বলছে এর ফলে তাদের পক্ষে আইসোলেশনে থাকার ব্যাপারটা সবক্ষেত্রে ফলদায়ক হচ্ছে না। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস থেকে নতুন করোনাভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়? কতটা উদ্বেগের? করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন টাকার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে কি? | Black men and women are nearly twice as likely to die with coronavirus as white people in England and Wales, according to the Office for National Statistics. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | সৌদি গোয়েন্দা দলের ওপর সিসিটিভি ফুটেজ। এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, ইস্তাম্বুলের বিমান বন্দর দিয়ে কথিত সৌদি গোয়েন্দারা ঢুকছে এবং বেরিয়ে যাচ্ছে। সৌদি রাজতন্ত্রের একজন কড়া সমালোচক মি. খাসোগি গত ২রা অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ। তুর্কী কর্তৃপক্ষ বলছে, তাকে খুন করা হয়েছে। তবে সৌদি আরব এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। ভিডিওতে কী রয়েছে? তুর্কী টিভি চ্যানেল আরটিআর-এ যে ভিডিওটি প্রচার করা হয় তা জোগাড় করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে। এতে দেখানো হয়েছে, কতগুলো গাড়ি সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর ঢুকছে। এর মধ্যে কাল রঙের একটি ভ্যান সম্পর্কে তুর্কী কর্তৃপক্ষ জানতে খুবই আগ্রহী। এই সৌদি বিমানের সাথে জামাল খাসোগির গুমের ঘটনার সংযোগ রয়েছে বলে তুর্কী তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন। আরো পড়তে পারেন: জন্মদিনে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর বাংলাদেশের বগুড়ায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলা মুফতি হান্নানের যে জবানবন্দি মামলার মোড় ঘুরিয়েছিল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একদল সৌদি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে দিয়ে প্রবেশ করছে, হোটেলে চেক-ইন করছে এবং পরে সে দেশ ত্যাগ করছে। তুর্কী তদন্তকারীরা দুটি সৌদি গাল্ফস্ট্রিম জেট বিমান সম্পর্কেও খোঁজখবর করছে। এই বিমান দুটি ২রা অক্টোবর অবতরণ করেছিল। মি. খাসোগি সেই দিন থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মি. খাসোগির কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কিন্তু তার বেরিয়ে আসার কোন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তুর্কী সংবাদপত্র সাবাহ্ খবর দিয়েছে যে সৌদি গোয়েন্দা বাহিনীর ১৫ জন সদস্য ঐ সাংবাদিকের গুমের সাথে জড়িত বলে তারা জানতে পেরেছে। পুলিশ এখন প্রায় ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করে দেখছে। তুরস্ক বলছে, তারা সৌদি কনসুলেটে তল্লাশি চালাবে। অন্যদিকে, সৌদি আরব বলছে যে কোন তদন্তের সাথে তারা সহযোগিতা করবে। কিন্তু তুর্কী সরকার দাবি করছে, মি. খাসোগি যে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছে সৌদি সরকারকেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। জামাল খাসোগির রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পাশ্চাত্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যমে ক'দিন ধরেই তুমুল হৈচৈ চলছিল - কিন্তু এখন তা পুরাদস্তুর হত্যা রহস্যের চেহারা নিয়েছে । জামাল খাসোগির সৌদি কনসুলেটে ঢোকার দৃশ্য। ৫৯-বছর বয়সী মি. খাসোগি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক, এবং বেশ কিছুকাল ধরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট একটি সূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, খাসোগিকে হত্যা করতে ১৫ জনের একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছিল। কেন সৌদি কনস্যুলেটে এসেছিলেন জামাল খাসোগি? মি. খাসোগির কনস্যুলেটে আসার উদ্দেশ্য ছিল, তার পূর্বতন স্ত্রীকে যে তিনি ডিভোর্স (তালাক) দিয়েছেন - এ মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র নেয়া, যাতে তিনি তুর্কী বান্ধবী হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করতে পারেন। মি. খাসোগি তার মোবাইল ফোনটি মিস চেঙ্গিসের হাতে দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকেন। মিজ চেঙ্গিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, মি. খাসোগি এ সময় বিমর্ষ এবং মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন - কারণ তাকে ওই ভবনে ঢুকতে হচ্ছে। হাতিস আরো বলেন, জামাল খাসোগি তাকে বলেছিলেন যদি তিনি কনস্যুলেট থেকে বের না হন - তাহলে তিনি যেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানের একজন উপদেষ্টাকে ফোন করেন। হাতিস চেঙ্গিস, জামাল খাসোগির হবু বধু। তিনি জানান, তিনি কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষা করেন মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর একটা থেকে মধ্যরাতের পর পর্যন্ত। কিন্তু তিনি জামাল খাসোগিকে কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন নি। বুধবার সকালবেলা কনস্যুলেট খোলার সময় তিনি আবার সেখানে উপস্থিত হন। তখন পর্যন্ত মি. খাসোগির কোন খোঁজ মেলেনি। তার পর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ। | Turkish media outlets have published CCTV footage which they say shows evidence of a plot linked to missing Saudi journalist Jamal Khashoggi. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | পৃথিবীজুড়ে বিমানে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওএজি এভিয়েশন নামের একটি সংস্থা বলছে, কুয়ালালামপুর-সিঙ্গাপুর রুটে ২০১৭ সালের প্রথমদিক থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৩০হাজার পাঁচশত সাইত্রিশ ফ্লাইট চলাচল করেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন ৮৪টি ফ্লাইট যাতায়াত করছে এ রুটে। সংস্থাটির জরিপে এর আগে সবচেয়ে ব্যস্ত বিমান চলাচলের রুট ছিল হংকং থেকে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে। সিঙ্গাপুর থেকে কুয়ালালামপুরে বিমানে যাতায়াত করতে একঘণ্টা সময় লাগে। দুটি স্থানের মধ্যে অতিদ্রুত গতির ট্রেন লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। আরো পড়ুন: সংস্কার করা হবে নেপালের ঝুঁকিপূর্ণ ত্রিভুবন বিমানবন্দর কীভাবে করা হয় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত? এ বেশ কিছু ব্যয় সাশ্রয়ী এয়ারলাইন্স রয়েছে। যেমন -স্কট, জেটস্টার, এয়ার এশিয়া, মালিন্দো এয়ার। এছাড়া দুই দেশের পতাকাবাহী সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সও এ রুটে চলাচল করে। ওএজি'র রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমান রুট হচ্ছে নিউইয়র্কের লা-গুরদিয়া বিমানবন্দর থেকে কানাডার টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দর। এ রুটে গত ১৪ মাসে প্রায় ১৭ হাজার বিমান চলাচল করেছে। যদি যাত্রী পরিবহনের হিসেব বিবেচনা করা হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি যাত্রী চলাচল করেছে হংকং এবং তাইওয়ান রুটে। এ সমেয়ের মধ্যে ৬৫ লাখ যাত্রী চলাচল করেছে এ রুটে। যাত্রী পরিবহনের বিবেচনার দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমান রুট হচ্ছে, সিঙ্গাপুর থেকে জাকার্তা। এ রুটে ৪৭ লক্ষ যাত্রী চলাচল করেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর - কুয়ালালামপুর রুট। এ রুটে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ৪০ লক্ষ। অভ্যন্তরীণ রুটে সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট চলাচল করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সউল থেকে জেজু দ্বিপে। এ রুটে ২০১৭ সালে ৬৫ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে । অর্থাৎ প্রতিদিন ১৮০টি বিমান চলাচল করেছে এই রুটে। জেজু দ্বিপ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। নেপাল বিমান দুর্ঘটনা: চলছে স্বজনদের শোকের মাতম আরো পড়ুন: 'নিয়মিত ফাস্টফুড খেলে গর্ভধারণে প্রভাব ফেলে' স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের মস্তিস্কে অস্ত্রোপচার বিয়ের উপহারে বোমা: রহস্য উদঘাটন হলো যেভাবে | The air route linking Singapore and the Malaysian capital Kuala Lumpur has become the busiest in the world, research shows. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ৫০ বছর যাবত ওমানের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করেন ১৯৭০ সালে ব্রিটিশদের সহায়তা নিয়ে তিনি তাঁর পিতাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে নিজে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এরপর দেশটির তেল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে তিনি ওমানকে উন্নয়নের পথে আনেন। সুলতান কাবুস ওমানের জনগণের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন এবং তার হাতেই ছিল সম্পূর্ণ রাজতন্ত্র। যে কোন বিরোধী মতকে তিনি কঠোরভাবে দমন করতেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তাঁর চাচাতো ভাই হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ এখন ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। এর আগে তিনি ওমানের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। সুলতান কাবুস-এর মৃত্যুর পর রাজপরিবারে এক বৈঠক হয় এবং তারপর শপথ গ্রহণ করেন হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ। ওমানে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে সুলতানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে। ওমানের সুলতান একাধারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী,সামরিক বাহিনী সর্বাধিনায়ক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সুলতান কাবুস-এর কোন উত্তরাধিকারী নেই। তাঁর উত্তরাধীকারী হিসেবে তিনি কাউকে নির্বাচনও করেননি। চিকিৎসার জন্য গত সপ্তাহে তিনি বেলজিয়াম গিয়েছিলেন। তখন খবর বেরিয়েছিল যে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। নিরপেক্ষ নীতি গত প্রায় পাঁচ দশক যাবত সুলতান কাবুস ওমানের রাজনীতি একচ্ছত্র ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ওমানের জনসংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ, যার মধ্যে ৪৩ শতাংশ বিদেশী নাগরিক। ২৯ বছর বয়সে তিনি তার বাবা সাঈদ বিন তৈমুরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তারা বাবা ছিলেন ভীষণ রক্ষণশীল। তিনি ওমানে অনেকে বিষয় নিষিদ্ধ করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল - রেডিও শোনা এবং সানগ্লাস নিষিদ্ধ করা। ওমানে কে বিয়ে করতে পারবে, কে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে, এমনকি কে দেশত্যাগ করবে - এসব কিছুর সিদ্ধান্ত তিনি দিতেন। পিতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সুলতান কাবুস ওমানে আধুনিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন। তখন ওমানে মাত্র ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবং তিনটি স্কুল ছিল। সুলতান কাবুস তখন ঘোষণা করেন, দেশটির তেল সম্পদ কাজে লাগিয়ে তিনি দেশের আধুনিকায়ন করবেন। আরো পড়তে পারেন: বিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ স্বীকার করেছে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের চারটি দূতাবাস টার্গেট করেছিল ইরান, ট্রাম্প সোলেইমানি হত্যাকাণ্ড কেন আইএস-এর জন্য সুখবর সুলতান কাবুসের পিতা সাঈদ বিন তৈমুর। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক বছরের মধ্যেই ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে ওমানের দক্ষিণাঞ্চলে উপজাতিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা দমন করেন। সুলতান কাবুসকে মনে করা হতো একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করেছিলেন। ২০১৩ সালে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পর্দার আড়ালে আলোচনার সূত্রপাত করাতে ভূমিকা রাখেন সুলতান কাবুস। সে ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি হয়েছিল। সম্পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী শাসন ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় ওমানেও কিছু অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দেশটিতে বড় ধরণের কোন বিক্ষোভ হয়নি। কিন্তু ওমানের বিভিন্ন জায়গায় হাজার-হাজার মানুষ ভালো মজুরির দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবির মধ্যে আরো ছিল অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতি বন্ধ করা। তেল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে ওমানের সমৃদ্ধি এনেছেন সুলতান কাবুস নিরাপত্তা বাহিনী প্রথম দিকে সে বিক্ষোভের প্রতি কিছুটা নমনীয় ভাব দেখিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং তাজা গুলি ছুঁড়েছে। তখন দুজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়। 'বেআইনি সমাবেশ' এবং 'সুলতানকে অপমান' করার অভিযোগে শতশত মানুষকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বড় ধরণের পরিবর্তন আনতে সক্ষম না হলেও সুলতান কাবুস পরবর্তীতে, দুর্নীতিবাজ বলে মনে করা হয় এবং একই সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রিত্বে থাকা কিছু ব্যক্তিকে সরিয়ে দেন। তিনি সরকারি চাকরির সুযোগ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেন। তখন থেকে কর্তৃপক্ষ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোকে বন্ধ করে দেয়। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, তখন বিভিন্ন বই বাজেয়াপ্ত এবং মানবাধিকার কর্মীদের হয়রানিও করা হয়। | Sultan Qaboos bin Said Al Said of Oman, the Arab world's longest-serving ruler, has died aged 79. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | The second blast hit those who had gathered after the first বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, তাদের প্রধান ফটোসাংবাদিক শাহ মারাই হামলায় নিহত হয়েছেন। একজন হামলাকারী মোটরবাইকে করে এসে প্রথম হামলাটি চালায়। তখন সেখানে সাংবাদিকসহ লোকজন ছুটে গেলে তার ১৫ মিনিট পরেই চালানো হয় দ্বিতীয় হামলাটি। ইসলামিক স্টেট বলছে, তারাই এই হামলাটি চালিয়েছে। এক টুইট বার্তায় এএফপি বলছে, সাংবাদিকদের দলটিকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: হোয়াইট হাউজে ম্যাক্রোঁর গাছটা কোথায় গেল? আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও ঝড়ের পূর্বাভাস বাংলাদেশে বজ্রপাত কখন কোথায় বেশি হচ্ছে? এএফপির টুইট পুলিশের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে এএফপি বলছে, "হামলাকারী একজন সাংবাদিকের বেশে সেখানে গিয়েছিলেন। লোকজন জড়ো হওয়ার পর সে এই বিস্ফোরণটি ঘটায়।" রেডিও ফ্রি ইউরোপও নিশ্চিত করেছে যে তাদের দু'জন সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন। তারা হলেন আবদুল্লাহ হানানজাই এবং মোহাররম দুররানি। আবদুল্লাহ হানানজাই, যিনি একজন ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিক, মাদক নিয়ে কাজ করছিলেন আর মোহাররম দুররানি কাজ করছিলেন নারীদের বিষয়ে। তাদের আরো একজন সাংবাদিক সাবন কাকার হামলায় আহত হয়েছেন। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে আটজন সাংবাদিক এবং চারজন পুলিশের কর্মকর্তা। এতে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। এএফপি বলছে, আরো যেসব সাংবাদিক নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ওয়ানটিভির দু'জন, টোলো নিউজের একজন এবং জাহান টিভির একজন। তাদের নাম পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আইএস এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল গোয়েন্দা বিভাগের সদর দপ্তর। রাজধানীর এই অংশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং নেটোরও অফিস রয়েছে। শাহ মারাই শাহ মারাই ১৯৯০ এর দশকে তালেবানের শাসনামলে এএফপির একজন ড্রাইভার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। আন্তর্জাতিক খবরাখবরের প্রতি তার কৌতুহল এবং ছবি তোলার ব্যাপারে তার আগ্রহের কারণে এএফপি তাকে ফ্রান্সে পাঠায় প্রশিক্ষণের জন্যে। ফিরে এসে তিনি এএফপির হয়ে রাজধানী কাবুলের বিভিন্ন ঘটনা দুর্ঘটনায় মানুষের ছবি তুলতে শুরু করেন। শাহ মারাই-এর তোলা একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে আফগান এক মেয়েশিশু কাবুলের উপকণ্ঠে আবর্জনার ভেতরে দাঁড়িয়ে আছে। তার আলোচিত ছবিগুলোর একটি গত বছর শিয়া মসজিদে হামলার সময় তোলা হয়েছিল। ওই ছবিতে দেখা যায় একটি শিশু হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে আছে। একজন পুলিশ তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলছে। কারণ হামলাকারীরা তখনও মসজিদের ভেতরে ছিল। কিন্তু শিশুটি তার পিতাকে খুঁজছিল। তার সহকর্মীরা বলছেন, শাহ মারাই ছিলেন খুব শান্ত স্বভাবে, হাসখুশি এবং সবসময় ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করতেন। তিনি কখনও বিপদে ভয় পেতেন না। শাহ মারাই-এর তোলা ছবি: এক আফগান নারী অর্থ চাইছে। তার আরেক বন্ধু সরদার আহমেদ কয়েক বছর আগে কাবুলেই সেরেনা হোটেল আরো একটি হামলায় নিহত হওয়ার পর তিনি একটু ভেঙে পড়েছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন। নিহত এই সাংবাদিকের সাতটি সন্তান রয়েছে যাদের একজন নবজাত শিশু। | At least 26 people have been killed in two bombings in the Afghan capital Kabul, including several journalists documenting the scene. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মায়া এবং মেহেক একই লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। তিনি উত্তর পাকিস্তানের নওশেরা থেকে এসেছিলেন, যেখানে সমাজ অনেক রক্ষণশীল এবং ভিন্ন মানুষদের জন্য সহনশীলতা খুব কম। আর মায়া সেই রক্ষণশীলতা মেনে চলেননি। তিনি হিজড়া ছিলেন, অর্থাৎ তিনি পুরুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি নারী হিসাবে নিজের পরিচয় দেন এবং নারীদের মতো জীবনযাপন করেন। তিনি নিজ বাড়িতে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এ নিয়ে তিনবার পালিয়ে গিয়েছিলেন। প্রতিবার অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি নতুন একটি সম্প্রদায়ে নিজের সুখ খুঁজে পান তবে এরপর তিনি পেশাওয়ারে তার পরিবারের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ নেন। তার শৈশবের বন্ধু মেহেক খান বলেন, "আমরা নিজেদের আরও ভালোভাবে চিনতে পারলে ভাল হতো।" কারণ মায়ার পরিবার তাকে খুঁজে বের করে এবং তিনি পালিয়ে যাওয়ার এক মাসের মাথায় মারা যান। পুলিশ সন্দেহ করেছে যে তার ভাই এবং চাচা তাকে হত্যা করেছে, তবে তারা জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ যে, পুলিশ এই মামলায় অনেক ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে, যার অর্থ মায়া হয়তো কখনোই ন্যায়বিচার পাবেন না, যেমনটা পাননি পাকিস্তানের খুন হওয়া বহু হিজড়া নারী। নওশেরা গ্রামে দুই হিজরা নারীর জীবন ছিল দুর্বিসহ। 'আমরা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি' খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যে মায়ার বাড়িতে, হিজড়া নারীদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে চিহ্নিত করার প্রবণতা রয়েছে - তারা নিজেদের প্রায়ই 'শি-মেইল' হিসেবেও উল্লেখ করে থাকে। ২০০৯ সাল থেকে পাকিস্তানের আদালতের একাধিক রায়ে তৃতীয় লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তবে এর বাস্তবায়ন এখনও ত্রুটিপূর্ণ রয়ে গেছে। দেশটিতে সামাজিকভাবে, এখনও হিজড়াদের নিম্নশ্রেণীর হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত মর্যাদা বা এমনকি নিজেদের সুরক্ষা দাবি করার কোনও অধিকার তাদের নেই। মায়ার গল্পটি সেই বাস্তবতার অন্ধকার দিকটি তুলে ধরেছে। "আমরা প্রথম থেকেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম," মেহেক বলেন। "এটির একটা কারণ হতে পারে যে আমরা জানতাম, আমাদের লিঙ্গ বৈশিষ্ট্য একই ধরণের।" মায়া ও মেহেক নওশেরা গ্রামেই বেড়ে উঠেছেন। তাদের বাড়ির দূরত্ব রাস্তার এপার আর ওপার। উভয়ই পুরুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তবে তারা সবসময়ই নিজেদের নারী হিসেবে অনুভব করতেন, বলেন মেহেক। তিনি মাঝে মধ্যে মাথায় ওড়না জড়াতেন, নখে নেইলপলিশ লাগাতেন। মেহেকের বাবা এবং চাচা তাকে বাড়ির কলঙ্ক বলে মনে করেছিলেন। "তারা প্রায়শই আমাকে মারধর করত, আমাকে একটি ঘরে আটকে রাখত ... তবে আমি নারীর মতো বেশ ধরা থামাতে পারিনি," মেহেক বলেন। নারীদের মতো পোশাক পরার জন্য মায়াও তার পুরুষ আত্মীয়দের কাছ থেকে একই ধরণের আচরণের শিকার হয়েছিলেন। মায়াকে প্রতিনিয়ত মনে করেন তার বন্ধুরা। কৈশোর বয়সে পা রাখার সাথে সাথে এই বিষয়গুলি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। মেহেক বলেন, "এই সময়ে শি-মেইলরা অনুভব করতে শুরু করেন যে, মানুষ তাদেরকে যা ভাবে, আসলে তারা তেমন নয়।" "যখন এমনটা হয়, তখন পরিবারের সাথে জীবনযাপন করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ে এবং আপনি বেরিয়ে আসার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করেন।" মায়া ও মেহেক দুজনই বাড়ি থেকে পালিয়ে নামকরা নৃত্যশিল্পী হওয়ার কথা কল্পনা করতেন। তারপর ২০১৬ সালে, মেহেক অবশেষে এটি করতে পেরেছিলেন। তিনি পেশাওয়ারে পালিয়ে যান, সেখানে তার একজন প্রেমিক তাকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ খুঁজে দেন। মায়ার সাথে মেহেকের সবশেষ কথা হয়েছিল এক বছর আগে। মেহেককে, মায়া বলেছিল যে সেও পালানোর পরিকল্পনা করছে। "আমি খুশিতে কেঁদেছিলাম," মেহেক বলেন। পরে মায়া ও মেহেক একসাথে পাঞ্জাব প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় পাহাড়ি এলাকা কামরায় একজন গুরুর কাছে আশ্রয় নেন। সমাজের বেঁধে দেয়া নিয়মের চাপে পড়ে, পাকিস্তানের হিজড়া নারীরা সাধারণত ছোট একটি সম্প্রদায় হিসেবে জোট বাঁধেন। হিজড়া নারীদের উপার্জন করা অর্থের একটি অংশের বিনিময়ে প্রবীণ হিজড়া নারীরা সেখানে গুরু হিসাবে, সম্প্রদায়ের অভিভাবক এবং সুরক্ষকর্তা হিসাবে কাজ করেন। গুরু তাদের শিখিয়ে দেন কীভাবে পোশাক পরতে হবে এবং কিভাবে পারফর্ম করতে হবে। যেন তারা, হিজড়াদের জন্য নির্ধারিত হাতে গোনা কয়েকটি উৎস থেকে যেমন বিয়ে বাড়িতে নাচ দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। মেহেক প্রথমে তার বাড়ি থেকে পালাত সক্ষম হন। বিশ্বাসঘাতকতা করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সে বছর দু'জনই তাদের নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সময় ব্যয় করেন। মেহেক বলেন, "ওই বছরটি আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ বছর ছিল" পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ করার একটি সস্তা বিকল্প হল হিজড়া নাচ। এছাড়া বিয়ে বাড়িতে হিজড়াদের আমন্ত্রণ জানানোর আরেকটি কারণ হল, বিয়েতে তাদের ডাকলে ওই সম্প্রদায়ের প্রবীণদের তিরস্কার থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আর হিজড়াদের জন্য এই নাচ হল, ভিক্ষা করা বা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করা এড়ানোর একটি উপায়। "আমরা পুরো পেশাওয়ারের প্রায় সবখানে গিয়েছিলাম, বিয়েতে এবং অন্যান্য পার্টিতে নেচেছি, এবং আগের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করেছি।" তবে এই সুখের সময়টা ছিল অনেক ছোট - তাদের দুজনই শেষ পর্যন্ত তাদের প্রেমিকদের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন। দুজনের প্রেমিক ফন্দি করে তাদের খবর যার যার পরিবারের কাছে জানিয়ে দেয়। পরে তাদের দুজনকেই বাসায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। দুজনের চুল কেটে দেয়া হয় এবং নির্যাতন করা হয়। মেহেক বলেন, মায়াকে ভয়াবহ মারধর করা হয়েছিল, এবং তার ভাই তাকে বেশ কয়েক দিন ধরে বাড়ির বেজমেন্টে একটি বিছানায় বেঁধে রেখেছিল। অব্যাহত নির্যাতনের মুখে মার্চ মাসে, তারা দুজনেই আবারও পালিয়ে যান, শেষ পর্যন্ত পেশাওয়ারে এসে পৌঁছান, যেখানে টমি নর্তকীর প্রচলন রয়েছে। টমি নর্তকী বলতে হিজরাদের নাচই বোঝায়, তবে এখানে হিজরাদের সাজসজ্জায় নারীর বেশ কম থাকে। এর অর্থ ন্যাড়া মাথা সত্ত্বেও তারা বিয়ের কাজ পাবে। সেখানে নায়না খান হয়ে গেলেন তাদের নতুন গুরু। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে মায়া কীভাবে পেশাওয়ারে বেশ ভালভাবে টিকে গিয়েছিলেন। "মায়া বেশ স্বচ্ছন্দ্য, সাহসী এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন," তিনি বলেন। কিন্তু তারপরে এক শনিবার, "ডোরবেল বেজে ওঠে এবং মায়ার পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি হাতে একটি ফোন নিয়ে আসেন। তিনি নয় রুমের ওই অ্যাপার্টমেন্টে বসেন। যেখানে প্রায় ২০জন শিষ্যকে জায়গা দেয়া হয়েছে।" দুই নারী হিজড়া অবশেষে নর্তকী হয়ে তাদের শৈশব স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছিলেন। মায়া সামনের ঘরের একটি খাটে হেলান দিয়ে ফোনে কথা বলছিল। ওই ব্যক্তি অন্য খাটে বসেছিলেন এবং তার ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। মাঝে মাঝে মায়ার দিকেও এক ঝলক তাকাচ্ছিলেন। নায়না বলছেন, "এখন আমার সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তির ফোনে নিশ্চয়ই মায়ার ছবি ছিল এবং তিনি মায়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন।" এরপর ওই ব্যক্তি হঠাৎ চলে যান। এর কয়েক মিনিট পরে আবার দরজায় ঘণ্টা বাজে, এবং তিন জন ঘরের ভেতরে ঢোকে। "আমি দেখলাম মায়া তাড়হুড়ো করে ঘরে ঢুকেই তার কানের দুল এবং নাকফুল খোলে আর মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়, সবকিছু একটি পার্সে রেখে আমার হাতে দেয় সে। খুব ভয় পেয়েছিল মায়া। আমাকে সে জানায় যে তার ভাই এবং চাচা তাকে নিতে এসেছেন।" এরপর লম্বা গড়নের এক যুবক ঘরে ঢুকে মায়াকে পেটায়। নায়না ও তার শিষ্যরা সাথে সাথে ঘরে ঢোকে। ওই লোকটি একটি বন্দুক বের করলেও ভয় পায়নি বলে জানান নায়না। পরে সবার সহায়তায় তারা ওই তিনজন ব্যক্তিকে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের করে দিতে সক্ষম হন। কিন্তু আধ-ঘণ্টার মধ্যে একটি একদল পুলিশ হাজির হয় এবং পুলিশ কর্মকর্তা মায়াকে তার সাথে যাওয়ার আদেশ দেন। নায়না হস্তক্ষেপ করলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন যে, মায়া তার নিজের বাড়ি থেকে সোনা চুরি করেছে। কোনও উপায় না পেয়ে নায়না ও তার শিষ্যরা সিদ্ধান্ত নেন যে তারা মায়ার সাথে থানায় যাবে। পরের কয়েক ঘণ্টা ধরে, তাদের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। মায়া যেহেতু নিজে থেকে বাড়ি যেতে চাচ্ছে না তারপরও তাকে কেন থানায় আনা হয়েছে, সে নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে। মায়া প্রাপ্তবয়স্ক এবং সে যেটা চায় না, তাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করা যাবে না। এরপর থানার প্রধান তাকে আশ্বাস দেন যে তারা কেবল মায়াকে তার বাবার সাথে কথা বলিয়ে দিতে চান, যিনি নওশেরা থেকে এই পেশাওয়ারের পথে রয়েছেন। তারপরে মায়া তার যেখানে যেতে ইচ্ছা করে সেখানে যেতে পারবে। নায়না ও তার শিষ্যরা এরপর একটি বিয়ে বাড়ির কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হন, কিন্তু তারা যখন ফিরে আসেন তখন মায়াকে আর থানায় দেখতে পান না। একজন গুরুর ঘরে হিজড়া নারীরা নিরাপত্তা ও কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। যে আইন খুনিদের রেহাই দিতে পারে সেই রাতে মায়ার সাথে কী হয়েছিল তা পরিষ্কার নয়, এবং কখনই হয়তো তা জানা যাবে না। পেশাওয়ার শহরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জহুর আফ্রিদি বিবিসিকে বলেন যে, মায়া নিজের ইচ্ছায় তার বাবা, চাচা এবং অন্যান্য পুরুষ আত্মীয়দের সাথে চলে যায়। তবে হাস্টনাগরী পুলিশের একটি গোপন সূত্র বিবিসিকে সাদা কাগজে লেখা একটি অনুমতিপত্র দেখায়, যেখানে শুধু মায়ার বাবা এবং চাচা স্বাক্ষর করেছিলেন, মায়ার কোন স্বাক্ষর ছিল না।। নওশেরা পুলিশের তদন্তে প্রমাণ হয় যে মায়াকে যে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা তার চাচার মালিকানাধীন একটি পেট্রোল স্টেশনে কিছু সময়ের জন্য থামে। সেখান থেকে মায়া আরেকটি গাড়িতে ওঠেন। ওই গাড়িতে তার চাচা এবং ভাই ছিলেন। এরপর পরিবারের বাকী সবাইকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। পরদিন সকালে মায়াকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, নওশেরার কাছে একটি জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নায়না সন্দেহ করেন যে মায়ার পরিবার একটি লোককে পাঠিয়েছিল তার অবস্থান নিশ্চিত হতে। ওই ঘটনায় মায়ার বাবা, তার ভাই, চাচা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে বিবৃতিতে তারা সবাই মায়াকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তাদের সবাইকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। হিজড়া অধিকার কর্মী তৈমুর কামাল বলেন, এই মামলায় যথেষ্ট শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে। তবে পুলিশ "এই মামলায় কিছু প্রাসঙ্গিক ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে না, যেটা অপরাধীদের শাস্তি এড়ানো কঠিন করে তুলতো।" পাকিস্তানে বছরের পর বছর ধরে, একটি প্রাচীন আরব রীতি প্রচলিত রয়েছে। যেখানে খুন হওয়া ব্যক্তির পরিবার, অর্থের বিনিময়ে খুনি ব্যক্তিকে ক্ষমা করার অধিকার রাখে। সেই অর্থকে ব্লাড মানি বলা হয়। তবে ২০১৬ সালে তথাকথিত সম্মানের জন্য হত্যাকাণ্ড বা অনার কিলিং রোধে - এবং খুনি পরিবারগুলোকে অর্থের বিনিময়ে হত্যার দায় থেকে পালানো ঠেকাতে- পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সম্মান রক্ষার নামে অপরাধ করার অধিকার বাতিল করেছে। "মায়া পরিষ্কারভাবে এই অনার কিলিং এর শিকার ছিলেন।" তৈমুর কামাল বলেন, "তবে পুলিশ এই মামলায় সম্মানের এই ধারাটি অন্তর্ভুক্ত করেনি, এর ফলে মায়ার মা বা বোন যেন খুনিদের ক্ষমা করতে পারে সেই সুযোগ রেখে দিয়েছে।" এই সম্মান অপরাধ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ সকল ক্ষেত্রে এই অধিকার বাতিল করে দিয়েছে। মেহেক বলেন নায়নার (বাম) সাথে তিনি যে সময় কাটিয়েছেন সেটা তার জীবনের সবচেয়ে সুখী সময় ছিল যার মরদেহ কেউ দাবি করেনি তবে অর্থ দিয়েছে পেশাওয়ার ভিত্তিক ট্রান্সজেন্ডার রাইটস গ্রুপ ট্রানজেকশন বলছে যে ২০১৫ সাল থেকে শুধুমাত্র খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে কমপক্ষে ৭০জন হিজড়া নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে সংস্থাটি এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে পেশাওয়ারে নাজো নামে এক হিজড়া নারীর হত্যার খবরটিও সামনে আসে। গত বছর জুলাইয়ে দুই বন্ধু তাকে হত্যা করে এবং তার দেহটি টুকরো টুকরো করে কেটে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভর্তি করে। তবে সেই ব্যাগ ফেলে দিতে যাওয়ার সময় তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। নাজোর পরিবার তাদের মর্যাদাহানি হওয়ার ভয়ে তার মরদেহ গ্রহণ করেনি। পরে পেশাওয়ারে পুলিশের কবরস্থানে নাজোর ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ দাফন করা হয়। তবে আদালতে যখন মামলা দায়ের করা হয় এবং খুনিরা যখন নাজোর পরিবারের কাছে ব্লাড মানি বা অর্থের বিনিময়ে ক্ষমা চাইতে আসে। তখন তারা ঠিকই নাজোকে নিজেদের বলে দাবি করেন। দু'মাস আগে তাদের ক্ষমার কারণে নাজোর হত্যায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি খালাস পান। সাম্প্রতিককালে, মারদানের এক হিজড়া নারীকে তার পরিবার হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। মানবাধিকারকর্মীরা তার মৃতদেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করলেও কেউ পুলিশের কাছে কোন হত্যা মামলা দায়ের করেনি, বা পুলিশও এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কোন চেষ্টা করেনি। তাইমুর কামাল বলেছেন, পুলিশ ইচ্ছা করেই এই মামলায় ফাঁক ফোকর রেখে দিয়েছে যেন খুনিরা মায়ার পরিবারকে টাকা দিয়ে মুক্তি পেতে পারে। মানবাধিকারকর্মীদের মতে, বেশিরভাগ সময় প্রেমিকরা রাগের বশে এই ধরণের হত্যা করে থাকে। পরিবারের সদস্যদের দ্বারা হত্যার ঘটনা বিরল, কারণ বেশিরভাগ হিজড়া নারীরা অল্প বয়সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এই হিজড়া নারীদের "আত্মীয়" বলতে তারা যেখানে বাস করেন সেই সম্প্রদায়ের সদস্যদের বোঝায়। এবং যখন তারা চলে যায়, এই সম্প্রদায়ের মানুষই সবচেয়ে বেশি তাদের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। মায়ার প্রাক্তন গুরু নায়না বলেন যে, তিনি যতবার তার সিন্দুক খোলেন, ততবার তার মায়াকে মনে পড়ে। "আমি তার পার্সটি দেখি, এবং কাঁদি। তার সবই সেখানে আছে; কিছু টাকা, তার ফোন, তার জাতীয় পরিচয়পত্র, তার গহনা। সে অনেক কম বয়সী ছিল। আপনি এই বয়সী কারও দিকে তাকিয়ে তার মৃত্যুর কথা ভাবতে পারবেন না।" মেহেকের কাছে মায়ার স্মৃতি আরও গভীরভাবে গেঁথে আছে। "নায়না দয়াবান এবং আমাদের নিরাপত্তা দেন এবং আমাদের এই জায়গাটি বন্ধুত্বপূর্ণ শি-মেইলদের কথায় আর হাসিতে মুখরিত থাকতো। তবে আমার হৃদয় বেদনা অব্যাহত রয়েছে। আমি আমার বন্ধুকে হারিয়েছি এবং কেউই তার স্থান নিতে পারবে না," তিনি বলেন। মানবাধিকারকর্মীদের মতে, বেশিরভাগ সময় প্রেমিকরা রাগের বশে এই ধরণের হত্যা করে থাকে। পরিবারের সদস্যদের দ্বারা হত্যার ঘটনা বিরল, কারণ বেশিরভাগ হিজড়া নারীরা অল্প বয়সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এই হিজড়া নারীদের "আত্মীয়" বলতে তারা যেখানে বাস করেন সেই সম্প্রদায়ের সদস্যদের বোঝায়। এবং যখন তারা চলে যায়, এই সম্প্রদায়ের মানুষই সবচেয়ে বেশি তাদের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। মায়ার প্রাক্তন গুরু নায়না বলেন যে, তিনি যতবার তার সিন্দুক খোলেন, ততবার তার মায়াকে মনে পড়ে। "আমি তার পার্সটি দেখি, এবং কাঁদি। তার সবই সেখানে আছে; কিছু টাকা, তার ফোন, তার জাতীয় পরিচয়পত্র, তার গহনা। সে অনেক কম বয়সী ছিল। আপনি এই বয়সী কারও দিকে তাকিয়ে তার মৃত্যুর কথা ভাবতে পারবেন না।" মেহেকের কাছে মায়ার স্মৃতি আরও গভীরভাবে গেঁথে আছে। "নায়না দয়াবান এবং আমাদের নিরাপত্তা দেন এবং আমাদের এই জায়গাটি বন্ধুত্বপূর্ণ শি-মেইলদের কথায় আর হাসিতে মুখরিত থাকতো। তবে আমার হৃদয় বেদনা অব্যাহত রয়েছে। আমি আমার বন্ধুকে হারিয়েছি এবং কেউই তার স্থান নিতে পারবে না," তিনি বলেন। ভিডিওতে দেখুন: তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার পাওয়া বাংলাদেশের হিজড়াদের প্রতিক্রিয়া নিজেকে আর পুরুষ বা নারী পরিচয় দিতে হবে না হিজড়াদের | In early 2019, Maya was on the run - but happy. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | তাল আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে দুর্বল লাভা বেরিয়ে আসছে। স্থানীয় সময় সোমবার সকালের দিকে তাল আগ্নেয়গিরি থেকে দুর্বল লাভা উদগীরণ শুরু হয়-আগ্নেয়গিরিটি রাজধানী ম্যানিলা থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বিশাল মাত্রায় ছাই উদগীরণের কারণে স্থানীয় ৮ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার পর এই লাভা উদগীরণ শুরু হলো। তাল ফিলিপিন্সের দ্বিতীয় সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। একটি লেকের মাঝখানে দ্বীপের মতো জায়গায় অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আগ্নেয়গিরি এবং গত সাড়ে চারশ বছরে এটি ৩৪ বার অগ্ন্যুৎপাত করেছে। "তাল আগ্নেয়গিরির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে... যা চৌম্বকীয় উদগীরণ ঘটাতে পারে রাত ২:৪৯ থেকে ভোর ৪:২৮-এর মধ্যে...এটি মূলত দুর্বল লাভা যার সাথে বজ্রপাতও হতে পারে," এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ফিলিপিন্স ইন্সটিটিউট অব ভলকানোলজি এন্ড সিসমোলজি (ফিভোলক্স)। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রেনাটা সোলিডাম বলেন, ভয়ংকর বিস্ফোরণের চিহ্ন যেমন "ছাই, পাথর, গ্যাস মিশ্রিত লাভা যা আনুভূমিকভাবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে" ধাবিত হয় তা এখনো দেখা যায়নি, সিএনএন ফিলিপিন্সকে তিনি একথা বলেন। ফিভোলক্স সতর্ক সংকেতের মাত্রা তিন থেকে বাড়িয়ে চার করা হয়েছে। এ ধরণের ঘটনায় সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত দেয়া হয় পাঁচ। কর্তৃপক্ষ আরো সতর্ক করে বলেছে যে, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে, যা উদগীরণের পর লাভা পানিতে পড়ার কারণে পানি স্থলভাগে চলে আসতে পারে এবং ঢেউ তৈরি করতে পারে। 'ছাইয়ে ঢাকা' রবিবার, আগ্নেয়গিরিটি থেকে প্রচণ্ড শব্দে প্রচুর ছাই নির্গত হয় এবং সাথে ভূমিকম্পের মতো কাঁপুনিও ছিল। ফিভোলক্স জানায়, তাল এলাকায় মোট ৭২টি ভূমিকম্প হয়েছে, এরমধ্যে ৩২টি ভূমিকম্প দ্বিতীয় ক্যাটাগরির এবং তীব্রতার স্কেলে বেশ উচুঁতেই ছিল। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক বিভাগের-ওসিএইচএ কর্মকর্তারা জানান, তাল আগ্নেয়গিরির বিপজ্জনক ১৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সাড়ে চার লাখ বাসিন্দা রয়েছে। স্থানীয় ঘর-বাড়ি, গাড়ি, ভবন এবং রাস্তা-ঘাট ছাইয়ের নিচে ঢাকা পড়েছে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের ঢাকা পড়েছে পাখিও আরো পড়তে পারেন: কেন বসবাস জীবন্ত আগ্নেয়গিরির ঠিক নিচেই ? দাবানলের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ মৃত তিমির পেটে ৪০ কেজি প্লাস্টিক আশেপাশের অনেক এলাকার বাসিন্দাদের ছাই পড়ার কারণে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মেট্রো ম্যানিলা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, দোকানগুলোতে মাস্কের মজুদ শেষ হয়ে গেছে। "আমি গাড়িতে গিয়ে দেখলাম, সেটি পুরোপুরি ছাইয়ে ঢেকে আছে। আমি দ্রুত একটি ওষুধের দোকানে গিয়ে মাস্ক কেনার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তাদের কাছে মাস্ক শেষ হয়ে গিয়েছিল," পারানাক এলাকার বাসিন্দা অ্যাঞ্জেল বাতিস্তা রয়টার্সকে একথা বলেন। 'ধূসর এবং প্রাণহীন' ফিলিপিন্সের তাগায়তায় এলাকায় থাকা বিবিসির সংবাদদাতা হাওয়ার্ড জনসন বলেন, "আজ সকালে তাল আগ্নেয়গিরির দিকে যাওয়ার সময় আমরা দেখলাম যে, স্থানীয় বাসিন্দারা বেলচা দিয়ে ভেজা ছাই রাস্তা থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। আনারসের ক্ষেত যা সাধারণত সুন্দর এবং মনোরম হয়, সেগুলো ধূসর এবং প্রাণহীন হয়ে পড়েছে।" তাল আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে আক্রান্ত হয়েছে স্থানীয় হাজার হাজার বাসিন্দা দূরে তাল আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই এবং ধোঁয়া আকাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এর কারণে মেঘও কালো হয়ে পড়েছে। আগ্নেয়গিরির আশেপাশে ১৪ কিলোমিটার এলাকায় যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তবে ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে আসা গাড়ি এবং ট্রাকের সারি ছিল রাস্তায়। "একটি পিক-আপ ট্রাকের পেছনে একটি পরিবারকে দেখলাম যারা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।" তারা ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার দিকে যাচ্ছে, যেখানে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রবিবার সব ধরণের ফ্লাইট বন্ধ ছিল। ফিভোলক্স হুশিয়ার করেছে যে, "বাতাসে থাকা ছাই এবং ব্যালিস্টিক উপাদান বিমানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।" পরে সোমবার অবশ্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে যে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিমান উড্ডয়ন এবং ১২টায় বিমান অবতরণ কার্যক্রম "আংশিকভাবে" শুরু করেছিল তারা। সোমবার সব ধরণের ট্রেডিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিপিন স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের দপ্তর, ম্যানিলায় সব ধরণের সরকারি কার্যক্রম এবং সব ধরণের স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ফিলিপিন্সে খুব অস্বাভাবিক নয়। কারণ দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় ফল্ট লাইন-রিং অব ফায়ার- বা কম্পন প্রবণ এলাকায় অবস্থিত। লেক তালের পাশেই অবস্থিত তাল আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই উদগীরণ হচ্ছে তাল: 'খুব বিপদজনক আগ্নেয়গিরি' •প্রাগৈতিহাসিক উদগীরণ থেকে সৃষ্ট ২৩০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত লেক তালে অবস্থিত একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এটি। •তাল একটি 'জটিল আগ্নেয়গিরি', এটির নির্দিষ্ট কোন জ্বালামুখ নেই, বরং উদগীরণের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট রয়েছে যা সময়ের সাথে সাথে বদলায়। •ফিভোলক্সের প্রধান তালকে 'একটি আগ্নেয়গিরির মধ্যে আরেকটি আগ্নেয়গিরি' বলে উল্লেখ করে বলেন, 'এটি খুবই বিপদজনক'।" •গত ৫০০ বছরে বিভিন্নভাবে তাল অন্তত ৩০ বার অগ্ন্যুৎপাত করেছে - সর্বশেষ ছিল ১৯৭৭ সালে। •১৯১১ সালের অগ্ন্যুৎপাতে ১৫০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। ১৯৭৪ সালের অগ্ন্যুৎপাত কয়েক মাস স্থায়ী হয়েছিল। আরো খবর: ইরানের কাছ থেকে জবাব আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন ট্রুডো একুশ বছর ধরে বাসে ঘুমিয়েছেন 'নাইট রাইডার' দাবানলের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ আইন না বুঝে বিক্ষোভ করছে ছাত্ররা: নরেন্দ্র মোদী | A volcano in the Philippines has begun spewing lava, as authorities warn that a "hazardous eruption" is possible "within hours or days". |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ২০১৬ সালে সাবেক স্বামী আবারো বিয়ে করার সময় ফেসবুকে দু'টি ছবিতে কমেন্ট করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে লালেহ শাহরাভেশের বিরুদ্ধে। সাবেক স্বামীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দুবাইয়ে যাওয়ার পর সেখানকার বিমানবন্দর থেকে ৫৫ বছর বয়সী লালেহ শাহরাভেশকে আটক করা হয়। ২০১৬ সালে তার সাবেক স্বামী আবারো বিয়ে করার সময় ফেসবুকে দু'টি ছবিতে কমেন্ট করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে। মিজ শাহরাভেশের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে প্যারিস তার মা'কে মুক্তি দেয়ার আর্জি জানিয়ে দুবাইয়ের শাসকের কাছে চিঠি লিখেছেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা এক সন্তানের জননী মিজ শাহরাভেশকে সমর্থন করছেন। সাবেক স্বামীর সাথে ১৮ বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন মিজ. শাহরাভেশ। ক্যাম্পেইন গ্রুপ 'ডিটেইন্ড ইন দুবাই'এর তথ্য অনুযায়ী, ঐ সময় আট মাসের জন্য দুবাইয়ে বসবাসও করেন তিনি। যুক্তরাজ্যে মেয়েকে সাথে নিয়ে ফেরত যাওয়ার পরও তার স্বামী দুবাইয়েই থেকে যান এবং পরবর্তীতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে ফেসবুকে ছবি দেখে মিজ শাহারাভেশ জানতে পারেন যে তার স্বামী আবারো বিয়ে করতে যাচ্ছেন। ছবিতে তিনি ফারসি ভাষায় দু'টি কমেন্ট করেন। যার মধ্যে একটি কমেন্টে ছিল: "তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি। আমি আশা করি তুমি মাটির নিচে চলে যাও। এই ঘোড়ার জন্য তুমি আমাকে ছেড়ে দিলে।" সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাইবার অপরাধ আইনের অধীনে, সামাজিক মাধ্যমে অসম্মানজনক কমেন্ট করার জন্য একজন ব্যক্তিকে জরিমানা করা অথবা কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। 'ডিটেইন্ড ইন দুবাই' সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাজ্যে বসে কমেন্ট করলেও মিজ শাহরাভেশের দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ৫৫ হাজার পাউন্ড জরিমানা হতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে মিজ শাহরাভেশের সাবেক স্বামীর নতুন স্ত্রী, যিনি দুবাইয়ের বাসিন্দা, ঐ কমেন্টগুলোর বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। মিজ শাহরাভেশ ও তার মেয়ে দুজনেই দুবাই এসেছিলেন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। কিন্তু মিজ শাহরাভেশকে গ্রেপ্তার করা হলে তার মেয়েকে একাই ফিরে যেতে হয়। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের কাছে লেখা এক চিঠিতে প্যারিস লিখেছেন যে, তার মা'কে পুলিশ 'আরবিতে লেখা একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছে, যেটির কিছুই তিনি বোঝেননি।' চিঠির শেষে তিনি লিখেছেন: "আমি অত্যন্ত বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। দয়া করে আমার মা'র পাসপোর্ট ফেরত দিন এবং তাকে দেশে ফিরে আসতে দিন।" 'প্রতিশোধপরায়ন নারী' ডিটেইন্ড ইন দুবাই সংস্থার প্রধান নির্বাহী রাধা স্টার্লিং বিবিসি নিউজকে জানিয়েছেন যে তার সংস্থা এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগকারীকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করেন, কিন্তু তিনি তা মানতে রাজী হননি। মিজ স্টার্লিং ধারণা পোষণ করেন যে অভিযোগকারীর সিদ্ধান্তটি 'যথেষ্ট প্রতিশোধপরায়ন' মনোভাব থেকে উদ্ধৃত। মিজ স্টার্লিং জানিয়েছেন যে মিজ শাহরাভেশ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, কিন্তু তার পাসপোর্ট জব্দ করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি একটি হোটেলে রয়েছেন। মিজ স্টার্লিং বলেন, আরব আমিরাতে সাইবার অপরাধ আইন কতটা কঠোর তা সম্পর্কে 'কেউই যথেষ্ট সচেতন নয়' এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র অধিদপ্তর সফরকারীদের সেসম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন করতে অসফল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "আমাদের কর্মকর্তারা দুবাইয়ে আটক থাকা ব্রিটিশ নারী ও তার পরিবারকে সমর্থন করছে। এই মামলা সম্পর্কে আরব অঅমিরাতের কর্তৃপক্ষের সাথে আমার যোগাযোগ করছি।" | A British woman is facing two years in jail in Dubai for calling her ex-husband's new wife a "horse" on Facebook, campaigners have said. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ৮০ এবং তার চেয়ে বেশি বয়সীরা বেশি ঝুঁকিতে চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেন্টেশন এর তথ্যে বলা হচ্ছে, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগী স্বল্প ঝুঁকিতে আছেন। যারা বেশি ঝুঁকিতে, তাদের মধ্যে বয়স্ক ও অন্যান্য রোগে অসুস্থ থাকা ব্যক্তিরা রয়েছেন। গবেষণা আরো বলছে মেডিকেল কর্মকর্তা যারা রয়েছেন তারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন। মঙ্গলবার উহানের একটা হাসপাতালের পরিচারক মারা গেলে মেডিকেল কর্মকর্তারা যে কতটা ঝুঁকিতে রয়েছেন সেটা আবারো আলোচনায় আসে। ৫১ বছর বয়সী লিউ ঝিমিং ছিলেন উহানের সবচেয়ে ভালো হাসপাতালগুলোর একটির পরিচালক। এ পর্যন্ত যে কয়জন স্বাস্থ্য কর্মী মারা গেছেন লিউ ঝিমিং তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। হুবেই প্রদেশের উহান শহরটি দেশটির মধ্যে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়া একটা শহর। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেন্টেশন বা সিসিডিসি এর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে এই প্রদেশে মৃত্যুহার ২ দশমিক ৯ শতাংশ। যেখানে সারা দেশে এই হার শূন্য দশমিক চার শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে সব মিলিয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃত্যুহার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। মঙ্গলবার চীনের প্রকাশ করা সবশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে সেখানে মৃতের সংখ্যা ১,৮৬৮ জন এবং ৭২,৪৩৬ সংক্রমিত হয়েছে। চীনের কর্তৃপক্ষ বলছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ সেরে উঠেছে। গবেষণা থেকে কী জানা যাচ্ছে? সিসিডিসি এই প্রতিবেদন সোমবার প্রকাশ করে এবং চাইনিজ জার্নাল এপিডেমিওলোজি তে প্রকাশ করা হয়। ঐ প্রতিবেদনে চীনে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ ৭২,৩১৪ টা কেস যেগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একেবারে নিশ্চিত, সন্দেহজনক এবং যেগুলোর কোন লক্ষ্মণ ধরা পড়েনি। ভাইরাস সম্পর্কে আগের বর্ণনা, সংক্রমণের ধরন এর সব ফলাফল বৃহৎ আকারে নিশ্চিত করা হয়েছে। শিশুদের আক্রন্ত হওয়ার শঙ্কা খুব কম প্রতিবেদনে সমগ্র চীনে ৪৪,৬৭২ টা কেসের বিস্তারিত ভেঙ্গে বলা আছে। তার মধ্যে কিছু কিছু সারসংক্ষেপ এমন: মেডিকেল স্টাফ: মেডিকেল স্টাফ যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে ৩০১৯জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭১৬ জন নিশ্চিত এই রোগে আক্রান্ত। এবং ১১ই ফেব্রয়ারী পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছে। এই গবেষণা ভবিষ্যতের কি বার্তা দিচ্ছে? করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ার সময়কাল ছিল ২৩-২৬ জানুয়ারী। এই প্রতিবেদন তৈরি করার সময় ১১ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত সেটা ক্রমাগত ভাবে কমতে শুরু করে। প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে এই যে সংক্রমণ পরতির দিকে যাওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তার মানে হতে পারে "পুরো শহরকে আলাদা করে ফেলা, জরুরি তথ্য উচ্চ মাত্রায় বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার করা যেমন হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, সাহায্য নেয়া ইত্যাদি, বিভিন্ন ক্ষেত্রের রেসপন্স টিমের কার্যক্রম এই মহামারী প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেছে"। কিন্তু লেখকেরা সতর্ক করে বলেছে অনেকেই ছুটি শেষ করে দেশে ফিরছে। দেশটির প্রয়োজন হবে প্রস্তুত থাকা সম্ভাব্য সব সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া। এই ভাইরাসের প্রতি চীনের প্রতিক্রিয়া ছিল উহানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। যেটা কিনা হুবেই প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর। প্রদেশের অন্যান্য স্থান এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে তীব্র বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। প্রমোদতরীগুলোর কী করা হচ্ছে? জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে দুইটি উড়োজাহাজে করে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রায় ৪০০ মার্কিন যাত্রী ছিলেন সোমবার ভোররাতে টোকিওর হ্যানেডা বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পাঠানো বিমান ছেড়ে যায় বলে জানাচ্ছে কিওডো নিউজ এজেন্সি। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার কারণে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে আটকে ছিল ডায়মন্ড প্রিন্সেস। জাহাজটিতে ৩৫৫ জনেরও বেশি লোকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। চীনের বাইরে একক কোন জায়গায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এই জাহাজেই। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রায় ৪০০ মার্কিন যাত্রী ছিলেন, এদের মধ্যে অন্তত ৪০জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। তাদের চিকিৎসা জাপানেই হবে। ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজটিকে প্রায় ৩,৭০০ যাত্রী নিয়ে ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা হয়। এদিকে দু হাজার যাত্রী সমেত আরেকটি প্রমোদতরীকে অবশেষে ক্যাম্বোডিয়ার বন্দরে ভিড়তে দেয়া হয়েছে। জাহাজটি দিনের পর দিন সাগরে ভেসে ছিলো, কোন বন্দরই এটিকে ভিড়তে দিচ্ছিল না, কারণ তাদের সন্দেহ ছিলো এই জাহাজের যাত্রীরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে। 'দ্য ওডিসি অব দ্যা এমএস ওয়েস্টারড্যামকে' পাঁচটি দেশের বন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিলো। এটিতে ১,৪৫৫ জন যাত্রী এবং ৮০২ জন ক্রু ছিল। দুই সপ্তাহ ধরে সাগরে প্রমোদবিহার করার কথা ছিল জাহাজটির। ১৪ দিনের এই বিহার শেষ হয়ে যাওয়ায় জ্বালানী ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। থাইল্যান্ড ছাড়াও জাপান, তাইওয়ান, গুয়াম ও ফিলিপিন্স এর আগে বন্দরে ভিড়তে দেয়নি জাহাজটিকে। আরো পড়ুন: বোরকা নিয়ে মুখোমুখি এ আর রহমানের কন্যা ও তসলিমা নাসরিন মানসিক অস্থিরতা যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা উপশমের উপায় পঙ্গপাল: বাংলাদেশে ঝুঁকি কতটা? ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে কি বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষ? | Health officials in China have published the first details of more than 44,000 cases of Covid-19, in the biggest study since the outbreak began. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া টেলিভিশন বক্তৃতায় মি. ট্রাম্প বলেন, বুধবার ভোররাতের হামলায় কোনো কোন আমেরিকান বা ইরাকীর প্রানহানী হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খুবই সামান্য। হামলার বদলা নেওয়ার কোনো হুমকি দেননি মি ট্রাম্প। বদলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান যদি পারমানবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা বাদ দেয় এবং, তার ভাষায়, সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করে, তাহলে শান্তি স্থাপনেও তিনি প্রস্তুত। যদিও এর আগে কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের পর মি. ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, ইরান যদি কোন রকম হামলা চালায় তাহলে ৫২টি ইরানী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে আমেরিকা। ইরান যে নতুন কোনো হামলা চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করেছে তাকে 'ইতিবাচক' বলে বর্ণনা করেন মি ট্রাম্প। "তারা যে ক্ষান্ত দিয়েছে সেটা সবার জন্যই মঙ্গল।" গত কদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে যে ধরণের সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি তিনি দিচ্ছিলেন আজ তার কিছুই মি. ট্রাম্পের কন্ঠে শোনা যায়নি। তবে সাংবাদিকদের সামনে তার সংক্ষিপ্ত বিবৃতির শুরুতেই মি. ট্রাম্প বলেন তিনি যতদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকবেন ইরানকে পারমানবিক অস্ত্র অর্জন করতে তিনি দেবেন না। তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তিনি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দেবেন যা ততদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে যতদিন 'ইরান তার আচরণ না বদলাবে।' তবে এ ব্যাপারে তিনি ভেঙ্গে কিছু বলেননি। তিনি বলেন, "১৯৭৯ সাল থেকে ইরানের বহু আপত্তিকর কর্মকান্ড সহ্য করা হচ্ছে, অনেক হয়েছে আর নয়।" তবে একইসাথে তিনি বলেন, "ইরান একটি মহান দেশ হতে পারে, সে যোগ্যতা তাদের রয়েছে...আমাদের সবার এখন উচিৎ ইরানের সাথে নতুন একটি চুক্তির চেষ্টা করা যাতে করে বিশ্ব নিরাপত্তা বাড়ে।" ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের যে দাবি ইরাকের পার্লামেন্ট করেছে, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি মি. ট্রাম্প। তবে তিনি বলেন, 'মধ্যপ্রাচ্যের তেলের কোনো প্রয়োজন আমেরিকার নেই।' একইসাথে মি. ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অধিকতর ভূমিকা নেওয়ার জন্য নেটো জোটকে বলবেন। কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পক্ষে আবারো যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। নিহত ইরানি জেনারেলকে সন্ত্রাসী হিসাবে আখ্যা দিয়ে মি ট্রাম্প বলেন, 'তার হাত হাজার হাজার ইরানি এবং আমেরিকানের রক্তে রঞ্জিত ছিল।' আয়াতোল্লাহ খামেনি আমেরিকার 'মুখে চপেটাঘাত' এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার মাধ্যমে তারা আমেরিকার 'মুখে চপেটাঘাত' করেছেন। "গতরাতে আমরা তাদের মুখে চড় মেরেছি।" ১৯৭৮ সালের কোম বিক্ষোভের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আয়াতোল্লাহ খামেনি এ কথা বলেন। এ সময় সমবেত জনতা 'আমেরিকার ধ্বংস চাই বলে শ্লোগান' দেয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, "যখন সংঘাতের প্রসঙ্গ আসে তখন এ ধরণের সামরিক হামলা যথেষ্ট নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, (মধ্যপ্রাচ্যে) আমেরিকার উপস্থিতি শেষ করে দেয়া।" ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও বলেছেন, আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিতাড়িত করতে পারলেই কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধ নেওযা হবে। | US President Donald Trump has said Iran "appears to be standing down" after it fired missiles at air bases housing US forces in Iraq. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | বাবাকে হত্যার সময় অ্যাঞ্জেলিনার বয়স ছিল ১৮, মারিয়ার ১৭ আর ক্রিস্টিনার ১৯ এর মধ্যেই তিন লাখ মানুষ একটি পিটিশন সই করে তাদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছে। কেননা তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, মেয়েদের বাবা বছরের পর বছর ধরে তাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে পীড়ন করে আসছিলেন। বাবার কি হয়েছিল? ২০১৮ সালের জুলাই মাসের বিকালে ৫৭ বছরের মিখাইল খাচাতুরিয়ান তার তিন মেয়ে, ক্রিস্টিনা, অ্যাঞ্জেলিনা এবং মারিয়াকে একে একে ডেকে পাঠান। তিনজনই সে সময় ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। ফ্ল্যাট পরিষ্কার পরিছন্ন করে না রাখার জন্য তিনি তাদের বকাঝকা করেন এবং মুখে পেপার গ্যাস স্প্রে করেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে মেয়েরা ছুরি, হাতুড়ি আর পেপার স্প্রে নিয়ে তার ওপর হামলা করে। তারা মাথায়, গলায় এবং বুকে মারাত্মক আঘাত করে। পরবর্তীতে তার শরীরে ৩০টির বেশি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর মেয়েরা পুলিশে খবর দেয় এবং ঘটনাস্থলেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে ওই পরিবারের মধ্যে চরম নির্যাতন ও সহিংসতার ইতিহাস বেরিয়ে আসে। মি: খাচাতুরিয়ান গত তিন বছর ধরে তার মেয়েদের নিয়মিত মারধর করতেন, নির্যাতন করতেন, দাসী করে রেখেছিলেন এবং যৌন নিপীড়নও করতেন। তিন বোনই তাদের বাবার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছে। আরো পড়ুন: নিপীড়ক সঙ্গী চিনবেন যেভাবে নারী নির্যাতনকারী পুরুষ কি কখনো শুধরায়? ভারতে মেয়েদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে তিন বোনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে র্যালি আলোচনায় পারিবারিক নির্যাতন ও পীড়ন এই মামলাটি দ্রুতই রাশিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করে যে, এই বোনরা কোন অপরাধী নয়, বরং ভুক্তভোগী। কারণ নির্যাতনকারী পিতার কবল থেকে বাইরে গিয়ে সাহায্য চাওয়ার কোন জায়গা বা সুরক্ষার কোন উপায় তাদের ছিল না। রাশিয়ায় পারিবারিক নির্যাতন থেকে ভুক্তভোগীদের রক্ষায় কোন আইন নেই। ২০১৭ সালে প্রথম আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়, যার ফলে পরিবারের কোন সদস্য অপর সদস্যকে যদি এমনভাবে মারধর করে যাতে তার আঘাত হাসপাতালে ভর্তি করার মত গুরুতর না হয় তাহলে তাকে শুধুমাত্র জরিমানা করা যাবে অথবা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত আটক রাখা যাবে। রাশিয়ার পুলিশ সাধারণত পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে 'পরিবারের ব্যাপার' বলে গণ্য করে থাকে, ফলে আসলে কোন সহায়তাই করে না। এই বোনদের মাও অতীতে মি: খাচাতুরিয়ানের কাছে মারধর ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, পুলিশের কাছেও গিয়েছিলেন। প্রতিবেশীরাও তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তাকে প্রচণ্ড ভয় পেতেন। কিন্তু এসব ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন নজির নেই। হত্যাকাণ্ডের সময় কিশোরী বোনদের মা তাদের সঙ্গে বসবাস করতেন না এবং মেয়েদের সঙ্গে মায়ের যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন মি: খাচাতুরিয়ান। মনোবিজ্ঞানীদের পর্যালোচনা অনুযায়ী, মেয়েরা বসবাস করতো নিভৃতে এবং মানসিক কষ্টের ভেতর দিয়ে গিয়েছিল (পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস)। মেয়েদের মা অরুলিয়া ডুনডুক বলছেন, মিখাইল ২০১৫ সালে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল তদন্তের সময় কি ঘটেছিল? খাচাতুরিয়ান বোনদের মামলাটি খুবই আস্তে আস্তে এগোচ্ছে। তারা আটক অবস্থায় নেই, তবে তাদের চলাফেরার ওপর কিছু বিধিনিষেধ আছে। তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না, এমনকি নিজেদের মধ্যেও না। কৌঁসুলিরা দাবি করছেন যে, মি: খাচাতুরিয়ানকে হত্যার বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যেহেতু তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন আর বোনরা সুসংগঠিতভাবে হামলা করেছে, আগেই ছুরি সংগ্রহ করে রেখেছে। তারা বলছেন, বোনদের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিশোধ নেয়া। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে বোনদের বিশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। অভিযোগ আছে যে অ্যাঞ্জেলিনা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে, মারিয়া ছুরিকাঘাত করেছে আর ক্রিস্টিনা পেপার স্প্রে ছুঁড়েছে। তবে বোনদের আইনজীবীরা বলছেন, নিজেদের রক্ষা করতেই তারা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। রাশিয়ার ফৌজদারি আইনে 'আত্মরক্ষার' বিষয়টি শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক হামলা থেকে নিজেকে বাঁচাতেই নয়, বরং নিয়মিত অপরাধ থেকে বাঁচার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেমন কেউ জিম্মি হয়ে থাকলে, সে অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হলে নিজের আত্মরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন। ২০১৯ সালের জুন মাসে অ্যাঞ্জেলিনাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, এই বোনরা ''নিয়মিত অপরাধের'' শিকার এবং এ কারণেই তাদের খালাস দেয়া উচিত। তারা আশা করছেন, মামলাটি বাতিল করা হবে, যেহেতু তদন্তকারীরা দেখতে পেয়েছেন যে, ২০১৪ সাল থেকেই এই বোনরা বাবার হাতে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মানবাধিকার কর্মী এবং অনেক রাশিয়ান এখন দাবি করছেন যেন এক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করা হয় এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় আশ্রয় কেন্দ্র, সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং পীড়নকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের মতো নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'সুখে খুব বেশিদিন থাকবে না' রোহিঙ্গারা বার্মিজ মিডিয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চেষ্টা পরমাণু অস্ত্রের নীতি কেন বদলাতে চায় ভারত? মার্গারিটা গ্রাচেভার স্বামী ঈর্ষার কারণে কুড়াল দিয়ে তার দুই হাত কেটে দিয়েছিল। রাশিয়ায় পারিবারিক নির্যাতনের মাত্রা কতটা? রাশিয়ায় কত নারী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তার কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য উপাত্ত নেই। তবে মানবাধিকার কর্মীরা ধারণা করেন, প্রতি চারটি পরিবারের মধ্যে অন্তত একজন নির্যাতন বা পীড়নের শিকার হচ্ছেন। এরকম আরো কয়েকটি ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তার একটি হচ্ছে মার্গারিটা গ্রাচেভার ঘটনাটি, যখন ঈর্ষার কারণে তার স্বামী কুড়াল দিয়ে তার দুই হাত কেটে দিয়েছিল। কোন কোন বিশেষজ্ঞের মতে, রাশিয়ার কারাগারে যে নারীরা বন্দী রয়েছেন, তাদের অন্তত ৮০ শতাংশ নারী পারিবারিক নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে কাউকে হত্যা করেছেন। তবে খাচাতুরিয়ান বোনদের ক্ষেত্রে আরেকটি চিত্রও আছে, যা রাশিয়ার কঠোর রক্ষণশীল অংশের প্রতিনিধিত্ব করছে। ''মেন'স স্টেট'' নামে একটি সংস্থা রাশিয়ার প্রধান দুটি মূল্যবোধ হিসাবে তুলে ধরছে ''পুরুষতন্ত্র'' এবং ''জাতীয়তাবাদ''-কে। এবং তারা বলছে সামাজিক মাধ্যমে দেড় লাখ সদস্যের একটি গোষ্ঠি ''মার্ডারস্ বিহাইণ্ড বারস্'' এই ব্যানারে প্রচারণা চালাচ্ছে যেন, এই বোনদের মুক্তি দেয়া না হয়। পাশাপাশি ''চেঞ্জ ডট অর্গ'' নামের পিটিশনে আহবান জানানো হয়েছে যেন, বোনদের বিরুদ্ধে মামলাটি বাতিল করা হয়। তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে কবিতা লেখা হচ্ছে, র্যালি হচ্ছে এবং নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ডারিয়া সেরেনকো, মস্কোর একজন নারীবাদী ও অধিকার কর্মী গত জুন মাসে বোনদের সমর্থনে তিন দিন ব্যাপী একটি র্যালির আয়োজন করেছিলেন। তিনি বলছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই ঘটনাটি সংবাদে রাখা এবং সবাই যেন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে সেটি নিশ্চিত করা। ''পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়টি রাশিয়ায় একটি বাস্তব সত্য। আমরা হয়তো সেটা অবহেলা করতে পারি, কিন্তু সেটা আমাদের জীবনে নানাভাবে প্রভাব ফেলছে, এমনকি আপনি ব্যক্তিগতভাবে এরকম নির্যাতনের শিকার না হয়ে থাকলেও।'' তিনি বলছেন। | In July 2018 three teenage sisters stabbed and battered their father to death in his sleep, in their Moscow flat. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | উদ্ধারকর্মীরা বলছে পূর্ব ঘুটার বিদ্রোহী অধ্যূষিত দৌমা শহরে গ্যাস আক্রমণে আন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারী সংস্থা 'হোয়াইট হেলমেট' একটি বেজমেন্টে মরদেহের ছবি সহ একটি টুইট করে। টুইটে বলা হয় যে মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই তথ্য অন্য কোনো উৎস থেকে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলার এই অভিযোগকে "অতিরঞ্জন" বলে দাবী করেছে। এর আগে করা এক টুইটে হোয়াইট হেলমেট দাবী করেছিল যমৃতের সংখ্যা ১৫০ জন। পরে ঐ টুইটটি মুছে ফেলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে তারা সাম্প্রতিক আক্রমণ সম্পর্কে "খুবই পীড়াদায়ক" তথ্য পাচ্ছে। তারা আরও বলেছে রাসায়নিক হামলা ব্যবহার করা হয়ে থাকলে সিরিয়ার মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করা রাশিয়াকে দায়ী করা উচিৎ। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে, "নিজেদের লোকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। অগণিত সিরিয়ানদের ওপর রাসায়নিক হামলা করার দায় নিতে হবে রাশিয়াকে।" সরকার বিরোধী 'ঘুটা মিডিয়া সেন্টার' টুইট করেছে যে এক হাজারের বেশী মানুষ এই রাসায়নিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা বলছে একটি পিপের মধ্যে করে হেলিকপ্টার থেকে ফেলা একটি বোমা ফেলা হয় সেখানে। ঐ পিপেতে বিষাক্ত রাসায়নিক সারিন ছিল বলে বলা হচ্ছে। পূর্ব ঘুটা অঞ্চলের একমাত্র বিদ্রোহী অধ্যূষিত শহর দৌমা বর্তমানে সরকারি বাহিনী অবরোধ করে রেখেছে। সামাজিক মাধ্যমের ছবিতে প্রকাশিত হয়েছে দৌমার গ্যাস আক্রমণের চিত্র কি জানা যাচ্ছে এই গ্যাস হামলা সম্পর্কে? একাধিক চিকিৎসা সেবাদানকারী, পর্যবেক্ষক ও উদ্ধারকর্মীরা রাসায়নিক হামলার সত্যতা যাচাই করেছেন। তবে কতজন নিহত হয়েছেন ও ঠিক কি হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না। সিরিয়ার হাসপাতালের সাথে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা 'ইউনিয়ন অব মেডিক্যাল রিলিফ অর্গানাইজেশন্স' দামাস্কাস রুরাল স্পেশালিটি হাসপাতালের বরাত দিয়ে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে যে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন সরেজমিন অনুসন্ধান থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে অন্তত ১৮০ জন মারা গেছে। তবে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের কারণে এই সংখ্যা নিশ্চিতভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার পর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা বলেছে এই প্রতিবেদন দৌমার দখল নেয়া জাইশ আল-ইসলাম বিদ্রোহীদের তৈরী। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, "জাইশ আল-ইসলাম সন্ত্রাসীরা পতনের মুখে আছে। তাই তাদের সমর্থিত সংবাদ মাধ্যমগুলো সিরিয়ান আরব সেনাবাহিনীর অভিযান থামানোর উদ্দেশ্যে গ্যাস আক্রমণের মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে।" জরুরী চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে একটি শিশুকে দৌমায় কি হচ্ছে পূর্ব ঘুটার শেষ বিদ্রোহী অধ্যূষিত শহর দৌমা। রাশিয়া সমর্থিত সিরিয়ান সরকারি সেনাবাহিনী ঘেরাও করে আছে শহরটি। বিদ্রোহীদের সাথে মস্কোর একটি আলোচনা বিফল হলে শুক্রবার থেকে তীব্র মাত্রার অভিযান শুরু হয় সেখানে। আলোচনা বিফল হওয়ার আগে জাইশ আল-ইসলাম তাদের সদস্যদের দৌমার নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে রাখার জন্য প্রস্তাব করেছিল। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের পর্যবেক্ষক দল বলেছে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় শুক্রবার ৪০ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিগত হয়েছেন। শনিবার নিহত হয়েছেন আরো ৩০ জন। সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম বলেছে বিদ্রোহীদের বোমাবর্ষণে রাজধানী দামেস্কে ৬ জন নিহত হয়েছে ও ৩৮ জন আহত হয়েছে। জাইশ আল-ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া অভিযানে অন্তত ১৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে হাজারেরও বেশী। | At least 70 people have died in a suspected chemical attack in Douma, the last rebel-held town in Syria's Eastern Ghouta, rescuers and medics say. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাই রাশিয়াকে পশ্চিমা দেশগুলোর ভয়ের কোন কারণ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। মি. পুতিন অভিযোগ করেছেন যে, অনেক দেশই সামরিক,অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সুবিধা পেতে রাশিয়া ভীতিকে একটি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোন ভিত্তি নেই। একটি ম্যাগাজিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মি. পুতিন বলেন, এখনকার পৃথিবী একটাই এগিয়ে গেছে যে, কোন দেশই এত বড় মাপের যুদ্ধে আর জড়িত হতে আগ্রহী হবে না। রাশিয়ার হুমকির বিষয়টি শুধুমাত্র অসুস্থ একজন মানুষের দুঃস্বপ্নেই আসা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। রাশিয়ান সমরাস্ত্র ইউক্রেন সংঘাতের পর থেকেই, রাশিয়ার হুমকি মোকাবেলা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে নেটো। ইউক্রেনে বিদ্রোহীদের রাশিয়া সহযোগিতা করছে বলে নেটো অভিযোগ করেছে। রাশিয়ার যেকোনো হামলা প্রতিরোধে, এ মাসের শুরুর দিকে একটি মহড়া আয়োজন করে নেটো, যেখানে সামরিক প্রযুক্তির পাশাপাশি সাইবার প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়। ইউক্রেনের সরকার বরাবরই অভিযোগ করছে, সেদেশের বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে রাশিয়া, যদিও দেশটি সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এর জের ধরে রাশিয়ার উপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমন পটভূমিতেই আজ শিল্পোন্নত দেশগুলো জার্মানি মুনিষে একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে, যেখানে রাশিয়াকে ডাকা হয়নি। | Russia is not a threat to Nato, President Vladimir Putin says. |