instruction
stringclasses 5
values | input
stringlengths 230
19.6k
| output
stringlengths 40
405
|
---|---|---|
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের নতুন কয়েকটি মডেল থেকে কিছু গুগল অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। এর ফলে হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের নতুন কয়েকটি মডেল থেকে কিছু গুগল অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুয়াওয়েকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমন একটি তালিকায় রাখা হয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন আমেরিকান কোম্পানি লাইসেন্স ছাড়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। ঐ তালিকায় হুয়াওয়েকে অন্তর্ভূক্ত করার পর গুগলের এই সিদ্ধান্ত এলো। গুগল তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা "নির্দেশনা মেনে চলছে এবং এর ফলাফল যাচাই করছে।" হুয়াওয়ে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। আরো পড়ুন: হুয়াওয়ে বিতর্ক: কতটা সস্তা আর কতটা ভালো? চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে নিয়ে কেন এত সন্দেহ হুয়াওয়ে: চীন-মার্কিন শত্রুতার কেন্দ্রে যে কোম্পানি হুয়াওয়ে ব্যবহারকারীদের ওপর কী প্রভাব পড়বে? হুয়াওয়ে ফোনের বর্তমান ব্যবহারকারীরা অ্যাপ আপডেট করতে পারবেন এবং গুগল প্লে সার্ভিসেও আপডেটেড থাকতে পারবেন। কিন্তু এ বছরের শেষে যখন গুগল অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী ভার্সন বাজারে ছাড়বে, তখন সেটি হুয়াওয়ের স্মার্ট ডিভাইসে ব্যবহার নাও করা যেতে পারে। যার অর্থ হলো, ভবিষ্যতের হুয়াওয়ের স্মার্ট ডিভাইসে ইউটিউব বা গুগল ম্যাপস এর মত অ্যাপ নাও থাকতে পারে। তবে ওপেন সোর্স লাইসেন্সের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েডের যেই ভার্সনটি ব্যবহার করা যায় সেটি হুয়াওয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। হুয়াওয়ে এ বিষয়ে কী করতে পারে? গত বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন হুয়াওয়েকে 'এনটিটি লিস্ট' এ অন্তর্ভূক্ত করে; যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানটি আর মার্কিন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লাইসেন্স ছাড়া প্রযুক্তিগত সহায়তা নিতে পারবে না। এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর করা প্রথম মন্তব্যে হুয়াওয়ের প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই জাপানি গণমাধ্যমকে বলেন, "আমরা এরকম কিছুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।" পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করে চীন তাদের নাগরিকদের ওপর নজরদারি করছে - এমন সন্দেহ পোষণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে। তবে হুয়াওয়ে এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। হুয়াওয়ে বলেছে, তাদের কাজের ধারা কোন ধরণের নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করে না এবং চীনের সরকারের সাথে তাদের কাজের কোন সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও কিছু দেশ হুয়াওয়ের পণ্যে তাদের মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫জি (ফাইভ জি) মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আরো পড়তে পারেন: রূপপুর প্রকল্পে 'দুর্নীতি', ঢাকায় 'বালিশ বিক্ষোভ' হ্যাপী বিতর্কের পর যেভাবে বদলেছে রুবেলের ক্যারিয়ার আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর পাঁচটি ভবিষ্যত 'সুপার ফুড' | Google has barred the world's second biggest smartphone maker, Huawei, from some updates to the Android operating system, dealing a blow to the Chinese company. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | সন্দেহভাজন সেনা সদস্য জাকরাফান্থ থোম্মা দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসি থাইকে জানিয়েছেন, জাকরাফান্থ থোম্মা নামে সামরিক বাহিনীর ওই জুনিয়র অফিসার প্রথমে তার কমান্ডিং অফিসারের ওপর হামলা চালিয়ে সামরিক ক্যাম্প থেকে বন্দুক ও বিস্ফোরক চুরি করে। এরপর ওই ব্যক্তি কোরাট শহরের একটি বৌদ্ধ মন্দির এবং একটি শপিং সেন্টারে এলোপাথাড়ি গুলি চালান বলে জানা গেছে। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি বর্তমানে শপিং সেন্টারের বেসমেন্টে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তাকে খুঁজে বের করতে পুরো শপিং সেন্টারটি চারিদিক থেকে কর্তৃপক্ষ ঘেরাও করে রেখেছে। ওই এলাকার আশেপাশের মানুষকে পুলিশ সতর্ক করে বলেছে যেন তারা ঘরের ভেতরে থাকে। এরইমধ্যে শপিং সেন্টারের কাছে গোলাগুলির দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় মিডিয়া ফুটেজে দেখা গেছে যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি জিপের মতো একটি গাড়ি থেকে মুয়াং জেলার টার্মিনাল ২১ শপিং সেন্টারের সামনে নামছেন এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন প্রাণ বাঁচাতে পালাতে থাকে। অন্য আরেকটি ফুটেজে দেখা গেছে ভবনের বাইরে আগুন জ্বলছে। গোলাগুলির কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে যে, ৩২ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন ভবনের ভিতরে জিম্মি হয়ে আছেন, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভবনের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। হামলার সময় সন্দেহভাজন তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলিতে পোস্ট দিতে থাকেন। এরমধ্যে ফেসবুকের একটি পোস্টে তিনি জানতে চান যে তার আত্মসমর্পণ করা উচিত হবে কিনা। তিনি এর আগে তিনটি বুলেটসহ একটি পিস্তলের ছবি পোস্ট করেন, এবং ওই ছবির ওপরে লেখেন: "এটি উত্তেজিত হওয়ার সময়।" এবং "কেউ মৃত্যুকে এড়াতে পারবে না।" তার ফেসবুক পাতাটি বর্তমানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওই সন্দেহভাজনের হামলা চালানোর উদ্দেশ্য এখনও পরিস্কার নয়। ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে যে, নিহত কমান্ডারের পরিচয় কর্নেল আনান্থারট ক্র্যাসায়। সামরিক ক্যাম্পের ভেতরে ৬৩ বছর বয়সী এক নারী এবং অপর এক সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বলে তার মুখপাত্র জানিয়েছেন। ঘটনায় আহতদের ওই এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের রক্ত দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন দেশটির জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী। | At least 12 people have been killed in ethnic violence in Pakistan's southern port city of Karachi, police say. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইউরোপের মধ্যে জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চুক্তির ফলে, মার্কিন সেনাবাহিনীর পঞ্চম কোরের সদর দপ্তর জার্মানি থেকে সরে পোল্যান্ডে স্থানান্তর করা হবে। গত মাসের শেষে যখন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে তারা জার্মানি থেকে ১২হাজার সৈন্য সরিয়ে নেবে তখন নেটোর জোটের সদস্য দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ঐ ১২ হাজারের মধ্যে অর্ধেকই নেয়া হবে পোল্যান্ডে। মি ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করলে জার্মানিতে মার্কিন সৈন্য সংখ্যা বর্তমানের ৩৬ হাজার থেকে নেমে দাঁড়াবে ২৪ হাজারে। নেটো জোটের ওপর যেমন তেমনি জার্মানির সাথে সম্পর্কের ওপর এই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলের অনেক নেতৃস্থানীয় রাজনীতিকরা আপত্তি তোলেন। কিন্তু শনিবারের চুক্তি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিলেন তিনি জার্মানির চেয়ে পোল্যান্ডকে বিশ্বস্ত মিত্র মনে করছেন। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জার্মানি থেকে সৈন্য সরিয়ে পোল্যান্ডে নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত কৌশলগত, কিন্তু অনেক পর্যবেক্ষক এর পেছনে ট্রাম্পের নিজস্ব রাজনীতি দেখছেন। বিবিসি বাংলায় পড়তে পরেন: পশ্চিমা প্রভাব কমছে একথা মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্প কি নেটোকে বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন? বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বাড়ছে কেন? শনিবার ওয়ারসতে প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও(বামে) ও পোলিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা জনাথন মার্কাস বলছেন, এই সিদ্ধান্ত যতটা না সামরিক কৌশল তার চেয়ে বেশি রাজনীতি। ২০১৮ সাল থেকে পোল্যান্ডের রাজনীতিকরা আরো সৈন্য মোতায়েন করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ক্রমাগত দেন-দরবার করে চলেছেন। তথাকথিত ‘ফোর্ট ট্রাম্প‘ নামে পরিচিত এই প্রস্তাবে পোল্যান্ড বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন সেখানে স্থায়ী একটি ঘাঁটি তৈরি করে পুরো এক ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন করে। শনিবারের চুক্তিতে তেমন কোনো প্রতিশ্রুতির কথা না থাকলেও জনাথন মার্কাস বলছেন, মি. ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন তিনি কী চান। “তিনি পরিষ্কার করেছেন যে পোল্যান্ডের মত যে দেশ প্রতিরক্ষার জন্য যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত, তেমন একটি দেশকেই তিনি মিত্র হিসাবে বেশি পছন্দ করেন।“ ‘লাভবান হবে রাশিয়া‘ জার্মান কর্মকর্তারা মার্কিন এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন এটি নেটো জোটকে দুর্বল করবে এবং রাশিয়াকে শক্তিশালী করবে। বাভারিয়া প্রদেশের সরকার প্রধান এবং প্রভাবশালী জার্মান রাজনীতিক মার্কাস সোয়েডার খোলাখুলি বলেছেন সৈন্য সরানোর এই সিদ্ধান্ত “জার্মান-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করবে।“ নেতৃস্থানীয় অনেক মার্কিন রাজনীতিকও উদ্বিগ্ন। ডেমোক্র্যাট সেনেটর জ্যাক রিড মন্তব্য করেছেন মি. ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত “মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী কাজ।“ রিপাবলিকান পার্টির সেনেটর মিট রমনি বলেন: “মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এটি বিশ্বস্ত একটি মিত্র দেশের গালে চড় মারার সামিল।“ সাবেক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা লে. জে. বেন হজেস, যিনি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইউরোপে মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন, জার্মান মিডিয়া ডয়েসে ভেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মি.ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, এবং এই সিদ্ধান্ত কৌশলগত কোনো বিশ্লেষণের ভিত্তিতে করা হয়নি। তিনি বলেন, সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র স্বার্থের বিরোধী কারণ এতে “আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ করবে যা রাশিয়ার জন্য ভালো হবে।'' “ক্রেমলিনকে একটি উপহার দেওয়া হচ্ছে। জার্মানিতে ৩০ শতাংশ সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে দিলে, তা রাশিয়াকে দারুণ সাহায্য করবে।“ জার্মানিতে একটি মার্কিন সামরিক ঘাাঁটি। ১২হাজর সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি সম্পর্ক ‘লাইফ সাপোর্টে‘ মি ট্রাম্প এসব কোনো কথারই তোয়াক্কা করছেন না, এবং জার্মানিকে লক্ষ্য করে এমন সব কথা বলছেন যার নজির বিরল। তিনি মন্তব্য করেছেন, প্রতিরক্ষার জন্য জার্মানি পয়সা খরচ তো করছেই না বরঞ্চ মার্কিন ঘাঁটি থেকে তারা পয়সা বানাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা সৈন্য সারাচ্ছি কারণ তারা (জার্মানি) খরচ বহন করছে না। খুব সহজ কথা। আমরা আর তাদের খাওয়াতে পারবো না।“ মি. ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বলছেন ইউরোপিয়ান সদস্যরা নেটোতে যথেষ্ট পয়সা দিচ্ছে না, প্রতিশ্রুতি মত (জিডিপির ২ শতাংশ) প্রতিরক্ষায় খরচ করছে না। মি ট্রাম্পের এসব মন্তব্য এবং সিদ্ধান্তে জার্মানিতে মার্কিন বিরোধী মনোভাব দিন দিন প্রবল হচ্ছে। রাজনীতির খবরাখবর এবং বিশ্লেষণের জন্য বিশেষায়িত মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো সম্প্রতি তাদের এক বিশ্লেষণে লিখেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র-জার্মান সম্পর্ক শুধু সঙ্কটেই পড়েনি, এই সম্পর্ক এখন “লাইফ সাপোর্টে।“ পলিটিকো অতি সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপের ফলাফল উদ্ধৃত করে লিখেছে ৮৫ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ক এখন “খারাপ বা খুবই খারাপ,“ এবং সিংহভাগ জার্মান এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দূরত্ব চাইছে। | US Secretary of State Mike Pompeo has signed a new defence agreement with Poland that will see American troops redeployed there from Germany. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | একুশ বছরের একজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ এবং সে একাই হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে টেক্সাসের মেয়র গ্রেগ অ্যাবট এই ঘটনাকে সেখানকার 'ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দিন' বলে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তের কয়েক মাইল দূরত্বে সিয়েলো ভিস্টা মলের কাছে ওয়ালমার্ট স্টোরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একুশ বছরের একজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ এবং সে একাই হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করেছেন, তাদের প্রশংসা করেছেন মেয়র গ্রেগ অ্যাবট। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম প্যাট্রিক ক্রুসিয়াস, সে ডালাস এলাকার একজন বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজে একজন ব্যক্তিকে বন্দুকধারী হিসাবে দেখা যাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বলছে, গাঢ় টি-শার্ট পড়া স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হাতে ব্যক্তি হামলা করেছে। আরো পড়ুন: ২০১৮'তে হয়েছে সবচেয়ে বেশি স্কুল হামলা জাসিন্ডা আরডের্ন: ভালবাসা দিয়ে 'হৃদয় জয়' করলেন যিনি 'আমরা ভাবিনি এই লোকটা আমাদের মারতে এসেছে' সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমে যা ঘটেছে বন্দুকধারীর প্রথম হামলার তথ্য পাওয়া যায় স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়। পুলিশ বলছে, হামলার সময় ওয়ালমার্টের ওই দোকানটিতে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট রবার্ট গোমেজ বলেছেন, একমাত্র সন্দেহজনক ব্যক্তি হচ্ছেন একুশ বছর বয়সের একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি। তবে তাকে আটক করার সময় পুলিশের কোন কর্মকর্তাকে গুলি করতে হয়নি। পুরো এলাকাকে নিরাপদ করে তোলা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি বলছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কাশ্মীরে চরম আতঙ্ক: দলে দলে পালাচ্ছে লোকজন ঢাকায় এডিস মশা নিধনে কেন এই ব্যর্থতা গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক আসে কীভাবে অভিভাবকত্ব আইন পরিবর্তনে সৌদি নারীদের কী লাভ? হামলার সময় ওয়ালমার্টে অনেক মানুষ কেনাকাটা করতে এসেছিলেন হামলার সময় সেখানে উপস্থিত একজন ব্যক্তি গুলিবর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন। সিবিএস নিউজকে তিনি বলেছেন, ''সেখানে কর্মীরা ছিল, তারা ভেতরে এসে বলছিল যে, তারা কয়েকটি গুলির শব্দ শুনেছে। তখন মানুষজন সবাই কাভার নেয়ার জন্য দোকানটির ভেতর ছুটে আসছিল। আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু ভেতরে ভেতরে আমি ভেঙ্গে পড়ছিলাম।'' এল পাসোর মেয়র গ্রেগ অ্যাবোট বলেছেন,''এরকম দুঃখজনক ঘটনা এখানে কখনো ঘটেনি, কখনো ভাবিনি এল পাসোতে এমনটা কখনো ঘটবে। এটা আমাদের দুঃখ দিয়েছে।'' যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওই এলাকা থেকে যেসব খবর আসছে, তা খুব খারাপ, অনেকে মারা গেছেন। | Twenty people have been killed and 26 injured in a mass shooting at a Walmart store in the Texas city of El Paso. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | অন্য অনেক দেশের মত ভারতেও কোভিডের টিকাকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়াচ্ছে অবশ্য সরকার এসব গুজব ও মিথ্যা তথ্যে কান না দিয়ে জনগণকে ভ্যাকসিন নেবার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা শেয়ার হওয়া অব্যাহত আছে। এসব দাবির কি কোন সত্যতা আছে? বিবিসির রিয়ালিটি চেক জানাচ্ছে - এরকম কিছু দাবির পেছনের আসল সত্য। দাবি ১ - এই টিকা আপনাকে ইমপোটেন্ট বা 'যৌন-অক্ষম' বানিয়ে দেবে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের একজন রাজনীতিবিদ - সমাজবাদী পার্টির আশুতোষ সিনহা - সম্প্রতি এই দাবি করেছেন। কিন্তু এর পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ তিনি দেননি। তিনি বলেছেন, "আমার মনে হয় এই টিকায় এমন কিছু থাকতে পারে যা আপনার ক্ষতি করবে। আপনি হয়তো যৌন-অক্ষম হয়ে যেতে পারেন। যে কোন কিছুই ঘটতে পারে।" আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাসের টিকা: মাইক্রোচিপ, ডিএনএ পরিবর্তন এবং অন্যান্য গুজব 'এখনি টিকা নিতে রাজি মাত্র ৩২% মানুষ'; বাকীদের অনাগ্রহের কারণ কী করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কেন ছড়াচ্ছে এত গুজব আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সমাজবাদী পার্টির আশুতোষ সিনহা তার দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ দেননি সরকারবিরোধী এই দলটির নেতা অখিলেশ যাদবও এর আগে এ টিকার কার্যকারিতার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন দলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন - এটা হচ্ছে "বিজেপি ভ্যাকসিন।" সত্যটা কী? বাস্তবতা হলো টিকা নিলে কেউ যৌন অক্ষম হয়ে যেতে পারে -এর কোথাও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এসব দাবিকে 'পুরোপুরি আবর্জনা' বলে বাতিল করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এই টিকা নিলে সামান্য জ্বর বা গায়ে ব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে - কিন্তু এই ভ্যাকসিনে পুরোপুরি নিরাপদ। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধনও এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে এটা ঠিক যে ভারতে কোন টিকা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যৌন-অক্ষমতার গুজব ছড়ানো এই প্রথম নয়। করোনাভাইরাসের টিকায় মাইক্রোচিপ আছে - এমন উদ্ভট দাবি ছড়াচ্ছে অনলাইনে কয়েক দশক আগে ভারতে পোলিও রোগ দমনের জন্য ব্যাপক এক টিকাদান কর্মসূচি চালানো হয়েছিল। তখনও কিছু ভারতীয় এই একই রকম গুজব ছড়ানোর কারণে এ টিকা নিতে চাননি। এই গুজবের সত্যতা বা প্রমাণ তখন যেমন ছিল না, এখনও নেই। দাবি ২ - ভারতের কোভিড টিকায় শূকরের মাংস আছে ভারতের কিছু ইসলামী আলেম বলেছেন যে কোন মুসলিমেরই কোভিড টিকা নেয়া উচিত নয় এবং তারা দাবি করেন যে ওই টিকাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শূকরের মাংস থেকে তৈরি। এটা ঠিক যে কোন কোন রোগের টিকায় শূকরের দেহ থেকে তৈরি জিলেটিন "স্ট্যাবিলাইজার" হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইসলাম ধর্মে শূকরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। ভারতের কিছু ইসলামী আলেম কোভিড টিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তবে অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকা, কোভ্যাক্সিন, ফাইজার ও মডার্না - এই টিকাগুলোর কোনোটিতেই শূকরের দেহ থেকে তৈরি জিলেটিন ব্যবহৃত হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে টুইটারে আলোচনা সৃষ্টি হয় একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে। ওই পোস্ট - যা ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছিল - তাতে মুসলিমদের পরামর্শ দেয়া হয় যে কোভিডের টিকা 'হালাল' বলে প্রত্যয়ন করা হয়নি। তবে ঠিক কোন টিকাগুলোর কথা বলা হচ্ছে তা স্পষ্ট করা হয়নি। বাস্তবতা হলো: ভারতে ব্যবহারের জন্য মাত্র দুটি টিকা অনুমোদিত হয়েছে, একটি যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যার স্থানীয় নাম কোভিশিল্ড, অপরটি ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। এ দুটির কোনোটিতেই উপাদানের মধ্যে শূকরের জিলেটিন নেই। ফাইজার ও মডার্নার টিকা দুটিও একইভাবে শূকরের জিলেটিন-মুক্ত। এসব দাবির কোন কোনটিতে চীনে তৈরি টিকাগুলোর উপাদানের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে কিন্তু চীনের তৈরি কোন টিকা ভারতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয় নি। অন্য কিছু দেশে চীনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। যেমন মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় স্থানীয় ইসলামিক কর্তৃপক্ষ চীনে তৈরি সিনোভ্যাক অনুমোদন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। দাবি ৩ - টিকার ভেতরে মাইক্রোচিপ আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছে যে এই ভ্যাকসিনের ভেতরে মাইক্রোচিপ আছে। ভারতের সামাজিক মাধ্যমেও এ দাবি বেশ প্রচার পেয়েছে। এমন একটি ছোট ভিডিও ছড়িয়েছে যাতে একজন মুসলিম ধর্মীয় নেতা বলছেন, কোভিডের টিকায় এমন একটি মাইক্রোচিপ আছে যা আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। টিকার মধ্যে মাইক্রোচিপ থাকার দাবি করেছেন একজন মুসলিম ধর্মীয় নেতা এ মাসের প্রথম দিকে ফেসবুক ও টুইটারে এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। সত্য হলো - কোন টিকার মধ্যেই মাইক্রোচিপ নেই। যদিও পৃথিবীতে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে যাদের মধ্যে এই দাবি বিভিন্ন সময়ই ছড়িয়েছে। দাবি ৪ - যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডে টিকা অনেক ব্যয়বহুল। সামাজিক মাধ্যমে আরেকটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত দাবির বিষয়বস্তু হচ্ছে টিকার দাম। এর মূল কথা হচ্ছে, ভারতে এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডে এ টিকা আপনাকে দাম দিয়ে কিনতে হবে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী তার বার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে টিকাটির দাম হবে ৫,০০০ রুপির সমতুল্য, আর ইংল্যান্ডে এর দাম হবে ৩,০০০ রুপির সমান। টিকার কথিত দাম নিয়ে টুইটারে ভুল বার্তা এর পর ভারতের একটি হিন্দি টিভি চ্যানেল এবিপি নিউজ এ ব্যাপারটি নিয়ে টুইট করে, তবে পরে তা মুছে দেয়। এই সংখ্যাগুলো একেবারেই সঠিক নয়। মার্কিন ফেডারেল সরকার বলেছে যে কোভিডের টিকা হবে ফ্রি, হবে টিকাটি নেবার জন্য কিছু অর্থ দিতে হতে পারে। তবে এই খরচটি অনেক আমেরিকানের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় পড়বে, এবং যাদের বীমা নেই তাদের ব্যয় মেটানো হবে বিশেষ একটি কোভিড রিলিফ ফান্ড থেকে। কাজেই তাদের কারোরই কোন অর্থ দিতে হবে না। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও এ দাবি সঠিক নয়, কারণ এ টিকা দেয়া হচ্ছে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার অধীনে - তাই টিকা নিতে কোন অর্থ লাগবে না। এই সেবার ব্যয় মেটানো হয় কর থেকে এবং রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা পান বিনামূল্যে। এটা ঠিক যে ভারতে টিকাদান কর্মসূচির প্রথম পর্ব পরিচালিত হবে বিনামূল্যে -যাতে স্বাস্থ্য কর্মী ও সামনের কাতারের কর্মীরা টিকা পাবেন। তবে এর পর কি হবে তা ভারত সরকার এখনো স্পষ্ট করেনি। | India started its Covid vaccination programme on 16 January, and in the days before and since then, various claims about vaccines have been doing the rounds on social media. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | দিল্লিতে সহিংসতার চিত্র দিল্লী, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা - এসব বড় শহরে ব্যাপক প্রতিবাদের খবর পাওয়া গেছে। বিবিসি নিউজ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, রাস্তাঘাটে ব্যারিকেড ও বাসে আগুন দেয়ার জের ধরে রবিবার পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়ে এবং অনেককে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। নতুন আইনে বাংলাদেশ সহ ভারতের প্রতিবেশী তিনটি দেশ থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। তবে যারা বিক্ষোভ করছে তারা প্রতিবাদের কারণ হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। কিছু সমালোচক বলছেন আইনটি মুসলিম বিরোধী, আবার সীমান্ত অঞ্চলে অনেক এ আইনে কারণে বড় ধরণের অভিবাসী ঢলের আশংকা করছেন। প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার এবং উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তা ছড়িয়ে পড়ার আগে ছয় জন নিহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গ 'বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন থামেনি বলেই এই বিল' এই ছবি দেখেই কি আত্মসমর্পণ করেছিলেন নিয়াজী? ভারতের বহু শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে কিন্তু তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দেশজুড়ে সোমবার বিক্ষোভ করছে। কলকাতায় লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। আরও অনেক শহরে বিক্ষোভের আশংকা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন আইনজীবী এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা তাদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে - বিশেষ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। দিল্লিতে উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দিল্লিতে কী হচ্ছে? শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শেষে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর সোমবার সকালে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ জনকে আটকের পর সোমবার তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আক্তার পুলিশী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা পুলিশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করবেন যাতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করা হবে। তবে শিক্ষার্থী নিহত হবার গুজবকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে ঠিক কারা সহিংসতা শুরু করেছিলো। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে শিক্ষার্থী ও পুলিশ সহ অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা সহিংসতা থেকে দুরেই ছিলো - যা পুলিশও ব্যক্তিগতভাবে স্বীকার করছে। রোববার সহিংসতা হয়েছে অনেক জায়গায় অন্য শহরগুলোতে প্রতিক্রিয়া কেমন? লখনৌ থেকে আসা লাইভ ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। টিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে পুলিশ ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করছে। পরিস্থিতি এখন উত্তেজনাময় এবং আরও বিক্ষোভের আশংকা করা হচ্ছে। মর্যাদাপূর্ণ ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। সংহতি প্রকাশ করে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা এসেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। অনেক শহরে সংহতি প্রকাশ করে মিছিল হয়েছে রোববার কী হয়েছিলো? জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে ভারতজুড়ে বহু শহরে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসেন। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে, যার জের ধরে ক্যাম্পাস ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বড় বিক্ষোভ হয়েছে হায়দ্রাবাদেও, যেখানে দিল্লিতে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মৌলানা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোমবাতি হাতে মিছিল করেছেন মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিউট অফ সোশাল সায়েন্সেস-এর শিক্ষার্থীরা। দিল্লিতে ছাত্ররা অভিযোগ করেছে যে পুলিশ রোববার শিক্ষার্থীদের শারীরিক হামলা ও যৌন হয়রানি করেছে। বারাণসী ও কলকাতার মতো আরও অনেক শহরে সংহতি প্রকাশ করে মিছিল হয়েছে। | India's Prime Minister Narendra Modi has appealed for calm as violent protests against a new law on illegal migrants continued for a fifth day. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | চাঁদের বুকে নামার কয়েক সেকেন্ড আগে অবতরণকারী যান বিক্রম এর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। চন্দ্রযান-২ মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে ২০শে অগাস্ট এবং ৭ই সেপ্টেম্বর ভারতের সময় সন্ধ্যা নাগাদ চাঁদের বুকে অবতরণ করার কথা ছিল। এর একমাস আগে সেটি পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। বিক্রম নামের এই যানটি চাঁদে নামার কয়েক মুহূর্ত আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার কথা ছিল। এরপরে সেই যানটিকে চাঁদের বুকে দেখা গেছে, কিন্তু এখনও বিজ্ঞানীরা সেটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি। পৃথিবী থেকে ওই অবতরণের চূড়ান্ত মুহূর্তটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। অবতরণের দৃশ্যটি টেলিভিশনেও সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল। আরো পড়ুন: চাঁদের বুকে ভারতের অবতরণ কেন ব্যর্থ হলো? পৃথিবী জুড়ে কয়েক লাখ মানুষ চাঁদের অবতরণের এই দৃশ্যটি সরাসরি দেখেছেন। যখন চূড়ান্ত মুহূর্ত গণনা শুরু হয়, তখন যানটি সেকেন্ডে ১৬৪০ মিটার বেগে এগিয়ে যাচ্ছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথম দুই ধাপে মনে হচ্ছিল বিক্রম পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপ, যেটি হোভারিং স্টেজ নামে পরিচিত, সে সময় সমস্যার শুরু হয়। ইসরোর সাবেক সদস্য অধ্যাপক রোড্ডাম নরসিমহা বলছেন, সমস্যাটি হয়তো যানটির মূল ইঞ্জিনে শুরু হয়। পর্দায় যানটির চলাচল দেখে সেটিই মনে হচ্ছে। ''একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা হতে পারে, যানটি অনেক বেশি দ্রুত গতিতে নামতে শুরু করেছিল। চাঁদে অবতরণ করার সময় প্রতি সেকেন্ডে দুই মিটার গতিবেগে এটি নামার কথা ছিল। কিন্তু চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের কারণে এটা সম্ভবত আরো বেশি দ্রুত গতিতে নামছিল।'' তাঁর বিশ্বাস, এর কারণ হয়তো যতটা জোর তৈরি করা দরকার ছিল, মূল ইঞ্জিনটি হয়তো সেটা তৈরি করতে পারেনি এবং যতটা ধীর গতি তৈরি হওয়া উচিত ছিল, সেটাও হয়নি।'' এর ফলে যানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযানের প্রধান মায়লসোয়ামি আন্নাদুরাই বলছেন, গতির অনিয়মের কারণে দ্রুতগতিতে চাঁদে আছড়ে পড়ায় হয়তো যানটির ভেতর কোন একটা অংশ কাজ করছে না। ''খুব সম্ভবত মহাকাশযানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন আমরা তথ্যগুলো দেখবো, তখন পুরোপুরি বুঝতে পারবো কী হয়েছে।" আরো পড়তে পারেন: প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের সিদ্ধান্ত কীভাবে হয় যে লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখালো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলিল নিবন্ধনে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি: টিআইবি চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরমাণু ও মহাকাশ নীতি বিভাগের প্রধান রাজ্যেশ্বরী রাজাগোপালান বলেছেন, সম্ভবত ইঞ্জিনের কোন ক্রুটি এর কারণ। ''সব তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন, কিন্তু কিছু একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। যখন সেটি দ্রুতগতিতে অবতরণ করবে, তখন সেখানে প্রচুর ধুলাবালি উড়বে এবং মাধ্যাকর্ষণের কারণে মহাকাশযানটিকে অনেক নাড়াবে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, যেকোনো একটি ইঞ্জিন হয়তো ঠিকভাবে কাজ করেনি।'' চন্দ্রযান-২ হচ্ছে ইসরোর নেয়া সবচেয়ে জটিল অভিযান। এই মহাকাশযানের ভেতরে ২৭ কেজি ওজনের মুনরোভার রয়েছে, যেটির নাম প্রজ্ঞান। চার চাকার এই রোবট যানটি চাঁদের বুকের মাটি পর্যালোচনা করতে সক্ষম। এই রোভারটির ৫০০ মিটার পর্যন্ত পরিভ্রমণের ক্ষমতা রয়েছে এবং ১৪দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। চাঁদের বুকের তথ্য ও ছবি নিয়ে সেটি পৃথিবীতে পাঠাতে পারে। এই অভিযানের কয়েকটি উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, পানি ও খনিজের সন্ধান এবং চাঁদের ভূমিকম্প সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: এসি দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব তথ্য জানা জরুরি আমেরিকাকে সতর্ক করে দিলো তালেবান ফুটবল ম্যাচে ভুল জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে তুলকালাম | India's space agency, Isro, has not yet released information on how it lost contact with its Moon lander seconds before it was due to touch down on the lunar surface. But former members of the agency tell the BBC what may have gone wrong. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটক করা হয় গত ডিসেম্বরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা অনুসন্ধানের সময় রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লংঘনের দায়ে তাদের এ শাস্তি দেয়ার কথা জানিয়েছে আদালত। সাজা পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন- ওয়া লোন এবং কিয়াও সো উ। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল যখন তাদের হাতে অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ছিলো এবং সেগুলো গ্রেফতারের আগ মূহুর্তেই পুলিশ তাদের হাতে দিয়েছিল। দুই সাংবাদিকই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেছেন পুরো বিষয়টিই পুলিশের সাজানো ছিলো। মিয়ানমারের এই ঘটনাকে মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য একটি পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। রায়ের পর ওয়া লোন বলেন, "আমি ভীত নই। আমি কোন অন্যায় করিনি। আমি ন্যায় বিচার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি"। কারাদণ্ড পাওয়া দুই সাংবাদিকই গত বছর ডিসেম্বর থেকে আটক রয়েছেন। বিচারক ইয়ে লুইন বলেছেন, "এই দুজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই রাষ্ট্রীয় স্বার্থের ক্ষতি করেছেন"। বিবিসি সংবাদদাতা নিক বিয়াকে ইয়াঙ্গুন থেকে জানিয়েছেন অনেকের কাছে এ রায় মুক্ত গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলে বিবেচিত হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: 'গণহত্যায় দায়ী' ছয় জেনারেল, সু চি ছিলেন নিশ্চুপ 'তারা পাপ করেছে, আমি তো কোন ভুল করিনি' রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘ কী করতে পারে? যতদূর চোখ যায়, শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা রাখাইনের এ ঘটনা নিয়েই অনুসন্ধান করেছিলেন দুই সাংবাদিক সতর্কতা: এ প্রতিবেদনে ব্যবহৃত একটি ছবি আপনার ওপর মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে কেন আটক হয়েছিলেন দুই সাংবাদিক? মিয়ানমারের গণহত্যার একটি ঘটনা অনুসন্ধান করেছিলেন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। পরে তাদের আটক করে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লংঘনের অভিযোগ আনা হয়। রয়টার্স দাবি করে, রাখাইনে দশ রোহিঙ্গাকে হত্যার বিষয়টি উদঘাটন করেছেন এই দুই সাংবাদিক। আর সেজন্যই তাদের আশা ছিলো যে দুই সাংবাদিকের তৎপরতা জনস্বার্থ হিসেবেই বিবেচিত হবে। রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে এডলার বলেছেন, "যখন ওয়া লোন ও কিয়াও সো উ আটক হলো তখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো তাদের নিরাপত্তা। পরে আইনি পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দুই সাংবাদিক ও তাদের স্বজনদের সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ইনদিন গ্রামে যা ঘটেছে তা প্রকাশ ছিলো আমাদের দায়িত্ব"। তিনি বলেন, "আমরা অনুসন্ধানী রিপোর্টটি প্রকাশ করেছিলাম কারণ এটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ ছিলো"। নিহতদের কয়েকজন বিবিসি স্বাধীনভাবে ওই রিপোর্ট যাচাই করে দেখতে পারেনি কারণ রাখাইনে সাংবাদিকদের কাজ করার সুযোগ খুবই সীমিত। কিন্তু রয়টার্সের ওই রিপোর্টটি প্রকাশের আগে থেকেই এভাবে গণহত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছিলো। রাখাইন মূলত নতুন করে আলোচনায় আসে গত বছর অগাস্টের আগে থেকেই, যখন সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ মানুষ রাখাইন ছাড়তে বাধ্য হয়। পরে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটক করা হয় ১২ই ডিসেম্বর। কী ছিলো রয়টার্সের প্রতিবেদনে? উত্তর রাখাইনের ইনদিন গ্রামে সেনাবাহিনী ও কিছু গ্রামবাসী মিলে সারিবদ্ধভাবে একদল রোহিঙ্গাকে বসিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিলো। ঘটনাটি ঘটেছিলো গত বছরের ২রা সেপ্টেম্বর। এ ঘটনাই উঠে এসেছিলো রয়টার্সের প্রতিবেদনে- যার তথ্য-উপাত্ত সব ওই দুই সাংবাদিকই যোগাড় করেছিলেন। তারা গ্রামবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কথা বলেন এবং ঘটনার ছবি যোগাড় করেন। ওই গ্রামের বৌদ্ধদের একটি কবর খননের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। এরপর ওই দশ জনকে হত্যা করা হয় যার মধ্যে অন্তত দুজনকে বৌদ্ধ গ্রামবাসীরা ও বাকীদের সেনা সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। এভাবেই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো রয়টার্স দাবি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের এটিই প্রথম কোন প্রমাণ। বৌদ্ধ গ্রামবাসীরাও ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি। পরে দুই সাংবাদিককে আটকের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ঘটনা তদন্ত করে। মিয়ানমার দাবি করে ওই দশ ব্যক্তি 'বাঙ্গালি সন্ত্রাসী' কিন্তু রয়টার্স দাবি করে এর কোন প্রমাণ তারা পায়নি। ওই দুই সাংবাদিক পরে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথেও কথা বলে যারা এখন বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে। বিবিসি বাংলার আরো খবর: 'কিছু হলে সব উত্তর পাড়ার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে' বিটিভিতে প্রচারিত বিজ্ঞাপন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল মুঘল সম্রাজ্ঞী নুরজাহান কেন নারীবাদীদের 'আইকন' রোহিঙ্গা সংকটের এক বছর:নির্যাতিতা রোহিঙ্গা নারী | A court in Myanmar has sentenced two Reuters journalists to seven years in prison for violating a state secrets act while investigating violence against the Rohingya minority. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | শনিবার কাসেম সোলেইমানির জানাজায় জনতার ঢল সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি এমন একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। ইরাকের রাজধানীর উত্তরাংশের বালাদ বিমান বন্দরের কাছে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়, যেখানে মার্কিন বাহিনীর বাস। তবে, ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র বলছে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। ইরানের নেতারা কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইরানে দাফনের জন্যে নিয়ে যাবার আগে শনিবার কাসেম সোলেইমানির শবযাত্রা নিয়ে ইরাকের শিয়া অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্য দিয়ে বিশাল মিছিল করা হয়। মার্কিন হামলায় সোলেইমানির সাথে নিহত কাতাইব হেজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহানদিসের জন্যেও শোক প্রকাশ করেন ইরাকিরা। সোলেইমানি এবং মাহান্দিসের কফিন কারবালার মধ্য দিয়ে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় ইরানের সমর্থনপুষ্ট এই দলটি ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীকে চূড়ান্ত সতর্ক করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে আল-মায়াদিন টেলিভিশন। ইরানের প্রতিশোধের হুমকির জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে আরো ৩০০০ অতিরিক্ত মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীদের ইরাক ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। নতুন হামলার ধরন কেমন? ইরাকের নিরাপত্তা সূত্র জানাচ্ছে, অন্তত একটি রকেট কিংবা মর্টারের গোলা গ্রিন জোনের সেলিব্রেশন স্কয়ারে আছড়ে পড়েছে এবং অপর একটি শহরের জাদরিয়া অঞ্চলে বিস্ফোরিত হয়েছে। আর, সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে যে, বালাদ বিমান ঘাঁটিতে দুটি রকেট আঘাত করার পর তার কোথা থেকে ছোড়া হয়েছে জানার জন্যে নজরদারি সক্ষম ড্রোন প্রেরণ করা হয়। কোনো গোষ্ঠীই এই হামলার দায় অবশ্য স্বীকার করেনি। তবে ইরান পন্থী মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে এই মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্যে সন্দেহ করা হচ্ছে। আরো পড়তে পারেন: ইরান নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল আসলে কী? সোলেইমানি হত্যার কী প্রতিশোধ নিতে পারে ইরান? ট্রাম্প বললেন, যুদ্ধ বন্ধ করতেই সোলেইমানিকে হত্যা কাশেম সোলেইমানির কফিন ঘিরে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ইরাকে কিভাবে শোক পালন করা হচ্ছে? বাগদাদে শোক মিছিলে অংশ নেয়া মানুষজন কফিনের পেছনে হেঁটে আল মুথানা বিমানবন্দর থেকে গ্রিন জোনের প্রবেশ ফটক পর্যন্ত আসে। তারা ইরাকি এবং মিলিশিয়া বাহিনীর পতাকা বহন করে এবং শ্লোগান দেয়, 'আমেরিকার মৃত্যু চাই'। শহরের অনেকগুলো রাস্তা জুড়ে মিছিল চলে। তাদের অনেকের হাতে ছিল সোলেইমানি এবং ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি। পরে মিছিলটি পবিত্র শহর কারবালা ও নাজাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তার মৃত্যুতে কয়েকদিন ধরে শোক পালন করতে যাচ্ছে ইরান ও ইরাকের সমর্থকরা। তবে এর বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকে গণতন্ত্রপন্থীদের বিরুদ্ধে সোলেইমানির সহিংসতার অভিযোগ এনে কিছু ইরাকিকে বাগদাদের রাস্তায় উল্লাস করতেও দেখা গেছে। | Several blasts shook the Baghdad area hours after a huge funeral procession for a top Iranian general, killed by a US air strike there on Friday. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | এখানে কিছু ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে ধর্মীয় নেতাদের শাসন চালু হবার আগে ইরানের নারীদের জীবন কেমন ছিল, এবং তা কিভাবে বদলে গেছে। বিপ্লবের আগে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের ল্যাবরেটরিতে কয়েকজন ছাত্রী ১৯৭৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন: বিপ্লবের সময় বহু ইরানী নারীই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছিলেন। তবে ইসলামী বিপ্লবের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এমন মেয়ের সংখ্যা বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হচ্ছে তখনকার কর্তৃপক্ষ গ্রামের রক্ষণশীল পরিবারগুলোকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যেন তারা তাদের মেয়েদের পড়াশোনার জন্য অন্যত্র যেতে দেয়। তারা মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া ঠেকাতে চেয়েছিল, কিন্তু এর এত তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় যে তারা নতি স্বীকার করে, বলছিলেন ব্যারনেস হালেহ আফসার, ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যিনি ১৯৬০এর দশকে ইরানে বড় হয়েছিলেন। অনেক শিক্ষিত লোক ইরান ছেড়ে চলে যাবার পর কর্তৃপক্ষউপলব্ধি করে যে দেশ চালাতে হলে নারী ও পুরুষ উভয়কেই শিক্ষিত করতে হবে। তেহরানে ১৯৭৬ সালে জুতোর দোকানে মেয়েরা তেহরানে ১৯৭৬ সালে বিপণীবিতানে মেয়েরা: বিপ্লবের আগে ইরানী মেয়েদের অনেকেই পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরতেন, যার মধ্যে টাইট-ফিটিং জিনস, মিনিস্কার্ট, ছোট হাতাওয়ালা জামা - সবই ছিল। "জুতোর ব্যাপারটা অবশ্য একই রকম আছে" - বলছিলেন অধ্যাপক আফসার, "দুনিয়ার অন্য মেয়েদের মতোই ইরানী মেয়েরাও জুতোর জন্য পাগল, তা ছাড়া শপিং হচ্ছে মেয়েদের জন্য প্রতিদিনের স্ট্রেস থেকে মুক্তির একটা উপায়।" তেহরান ১৯৭৬ - ইরানী নারীপুরুষের একটি দল পিকনিক করছে তেহরানে ১৯৭৬ সালে শুক্রবার ছিল পিকনিকের দিন: ইরানীদের মধ্যে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে একসাথে হবার দিন ছিল শুক্রবার যা ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। অধ্যাপক আফসার বলছেন, ইরানী সংস্কৃতিতে পিকনিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।। "মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে এটা খুবই জনপ্রিয়, আর বিপ্লবের পরও এর কোন পরিবর্তন হয় নি। তবে পার্থক্য হলো, এখন নারী-পুরুষ একসাথে বসে থাকার সময় তারা অনেক বেশি আত্মসচেতন থাকে, আচরণেও সংযত থাকে।" তেহরান ১৯৭৮ - একটি হেয়ার সালোঁর ভেতরে তেহরানের হেয়ার সালোঁ, ১৯৭৭ সালে: "এটা এমন একটা দৃশ্য যা আপনি ইরানে দেখতে পাবার আশা করবেন না, কিন্তু ইসলামী বিপ্লবের পরও কিন্তু হেয়ারড্রেসাররা ঠিকই টিকে আছেন" - বলছিলেন অধ্যাপক আফসার, "তবে আপনি হেয়ারড্রেসারদের দোকানে পুরুষ দেখতে পাবেন না, আর মেয়েরা দোকান ছেড়ে বেরুবার সাথে সাথেই তাদের চুল ঢেকে ফেলেন।" কিন্তু কিছু ইরানী তাদের বাড়িতেই গোপন সালোঁ চালায়, যেখানে নারী ও পুরুষ উভয়েই আসতে পারেন। পার্সিপোলিস ১৯৭১ : এক মহিলা শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভীর (সর্ব ডানে) সাথে কথা বলতে চাইলে শাহের দেহরক্ষীরা তাকে বাধা দিচ্ছে। দেহরক্ষীরা ঘিরে থাকতো শাহকে: ইরানের শাহ ১৯৭১ সালে পারস্যের রাজতন্ত্রের আড়াই হাজারতম বার্ষিকী পালন করতে প্রাচীন পার্সিপোলিস শহরে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন । শাহ সে সময় তার জনপ্রিয়তা অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং ইরানের বামপন্থী এবং ধর্মীয় নেতারা সবাই সেই অনুষ্ঠানের সমালোচনা করেছিলেন। এতে একজন তরুণী শাহের সাথে কথা বলতে চাইলে দেহরক্ষীরা তাকে বাধা দেয়। অধ্যাপক আফসার বলছেন, শাহের ওই বিলাসিতাপূর্ণ অনুষ্ঠানটি বিপ্লবের অনুঘটক হিসেবে কিছুটা হলেও কাজ করে থাকতে পারে। তেহরানে ১৯৭৬ সালে তুষারপাতের পর রাস্তায় হাঁটছেন একজন স্টাইলিশ তরুণী তেহেরানের রাস্তায় তরুণী, ১৯৭৬: অধ্যাপক আফসার বলছিলেন, আপনি মেয়েদের রাস্তায় হাঁটা বন্ধ করতে পারবেন না, তবে এই তরুণীর মেকআপ এবং কানের অলংকার যেভাবে দৃশ্যমান - তা এখন আর দেখা যাবে না।" এখন ইরানে রাস্তায় মেয়েদের দেখা যাবে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা কোট এবং মাথায় স্কার্ফ পরা অবস্থায়। বিপ্লবের পরে ইরানের মহিলারা নিকাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন, মার্চ ১৯৭৯। হিজাবের বিরুদ্ধে ইরানী মেয়েদের বিক্ষোভ : ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরই নতুন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ রুহুল্লা খোমেনি ডিক্রি জারি করলেন যে সব নারীকে নিকাব পরতে হবে - তার ধর্ম এবং জাতীয়তা যাই হোক না কেন। সেবছর ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে হাজার হাজার নারী এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ, ১৯৭৯: বিপ্লবী ছাত্রেরা তেহরানের মার্কিন দূতাবাসে বহু কর্মকর্তাকে জিম্মি করে, আর সেসময় মার্কিনবিরোধী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দূতাবাস ঘিরে রাখে। এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ঘৃণা ও অবিশ্বাস থেকে ইরানের বহু ধরণের লোক ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। অধ্যাপক আফসার বলছিলেন, আমেরিকান ও ব্রিটিশদের ইরানে প্রভাব খাটানো এবং তেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৮০। কালো চাদর পরা ও মুখ ঢাকা ইরানী নারীরা। শুক্রবার নামাজ পড়তে যাচ্ছে ইরানী পরিবার, ১৯৮০: শুক্রবারের নামাজটা হলো এমন একটা সময় - যখন ইসলামী কর্তৃপক্ষের প্রতি যাদের বিশ্বাস ও সমর্থন আছে (অথবা যারা বিরোধী বলে চিহ্নিত হতে চান না) তারা তাদের সংহতি প্রকাশ করেন। অধ্যাপক আফসার বলছিলেন, অবশ্য এ সময় নারী ও পুরুষদের নামাজের জন্য পৃথক পৃথক জায়গা নির্ধারিত থাকে। কালো চাদর পরা দু'জন ইরানী মহিলা দোকানের জানালার ওপাশে সাজানো বিয়ের পোশাক দেখছেন। তেহরানে ১৯৮৬ সালে বিয়ের পোশাকের দোকান : যে বিয়ের পোশাক দেখা যাচ্ছে তা সবই পশ্চিমা স্টাইলের। আসলে ঘরের দরজা বন্ধ রাখলে ইরানী মেয়েরা মোটামুটি যা ইচ্ছে তাই পরতে পারেন - বলছিলেন অধ্যাপক আফসার। "বিয়ে বা পার্টিগুলোতে সাধারণত নারী ও পুরুষদের আলাদা জায়গা থাকে, তাই মেয়েরা কি পরছেন তাতে কিছু এসে যায় না।" "তবে মিক্সড-সেক্স পার্টিও যে হয় না তা নয়। সেক্ষেত্রে দরজায় পাহারা দেবার জন্য লোকেরা নিরাপত্তা রক্ষী ভাড়া করেন, কেউ কেউ পুলিশকে কিছু টাকাপয়সা দিয়ে দেন যাতে তারা দেখেও না দেখার ভান করে।" তেহরানে ২০০৫ সালের দৃশ্য: একটি শপিং সেন্টারের বাইরে হিজাব পরা ইরানী মেয়েরা তেহরানে ২০০৫ সালে মেয়েরা রাস্তায় কি পরছেন?: ইরানের সব মেয়েই যে পুরো শরীর ও মাথা-ঢাকা কালো চাদর পরেন তা নয়। কেউ কেউ ঢিলেঢালা হিজাব ও কোট পরেন। অধ্যাপক আফসারের কথায়, "আসল প্রশ্নটা হচ্ছে: আপনার মাথার কাপড় আপনি কতটা পেছনে সরাচ্ছেন। মেয়েরা ছোট ছোট প্রতিরোধ গড়ে তুলছে, প্রায়ই তারা চেষ্টা করে মাথার হিজাব যতটা সম্ভব পেছন দিকে সরিয়ে দিতে। " ইরানের একটি সৈকত, মেয়েরা পুরো পোশাক পরা, তবে পুরুষটি পরে আছেন সুইমিং প্যান্ট। জুলাই ২০০৫। কাস্পিয়ান সাগর সৈকত, ২০০৫: ইরানী মেয়েদের সাঁতারের পোশাক পরে প্রকাশ্যে স্নান করা নিষিদ্ধ। অধ্যাপক আফসার বলছেন, "নারী ও পুরুষ এক সাথে সাঁতার কাটতে পারে না, তবে এটা এড়ানোর উপায় হলো নৌকা ভাড়া করে সাগরের তীর থেকে অনেকটা দূরে চলে যাওয়া, সেখানে তারা পাশাপাশি সাঁতার কাটতে পারেন।" কালো চাদর পরা ইরানী নারীরা, তাদের মাঝখানে একজনের কোলে রঙিন হিজাব পরা একটি ছোট মেয়ে হিজাবের সমর্থনে তেহরানের ২০০৬ সালের সমাবেশ: ইসলামী বিপ্লবের ২৫ বছর পর, কট্টরপন্থীদের সমর্থক নারীরা এক সমাবেশ করেন। তাদের প্রতিবাদের বিষয় ছিল: ইরানী কর্তৃপক্ষ তাদের ভাষায় বাধ্যতামূলক হিজাব বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ছবিতে বিক্ষোভকারী নারীরা কালো পোশাক পরলেও একজনের কোলের ছোট্ট মেয়েটি রঙিন হিজাব পরে আছে। তেহরান ২০০৮: মাখায় কাপড় দেয়া ইরানী মেয়েরা ফুটবল খেলা দেখছে নিকটবর্তী একটি শপিং মল থেকে তেহরান ২০০৮, মেয়েরা ফুটবল খেলা দেখছে: ইরানে মেয়েদের ওপরে আনুষ্ঠানিক কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় নি যে তারা পুরুষদের ফুটবল খেলা দেখতে যেতে পারবে না। কিন্তু প্রায়ই তাদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেয়া হয় না, ঢুকতে চেষ্টা করলে কোন কোন মেয়েকে আটক করা হয়। বিপ্লবের আগে মেয়েদের খেলা দেখতে যেতে দেয়া হতো। এখানে হিজাব পরা মেয়েরা একটি ফুটবল খেলা দেখছে স্টেডিয়ামের পাশের একটি শপিং সেন্টার থেকে। সব ছবির কপিরাইট সংরক্ষিত বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ইরান বিপ্লবের পর কী হয়েছিল খোমেনির সহযোগীদের খোমেনি নির্বাসন থেকে দেশে ফেরেন যেভাবে যে যুদ্ধে মানুষ মরেছে লাখ লাখ, জেতেনি কেউ ইরানে ৪০ বছর আগে বিপ্লব হয়েছিল যেভাবে হিজাব পরতে চাননি এই নারী, তারপর কী হলো | The Islamic Revolution of 1979 brought seismic changes to Iran, not least for women. One area that has come under scrutiny is the way women dress and wear their hair - the old Shah, in the 1930s, banned the veil and ordered police to forcibly remove headscarves. But in the early 1980s, the new Islamic authorities imposed a mandatory dress code that required all women to wear the hijab. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ভাঁজ করা সম্ভব 'ফোল্ডেবল' স্মার্টফোন তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি করেছে ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই মন্তব্যের পর থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে স্যামসাং বাঁকানো ফোন সেট বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে। সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিজে কোহ জানান স্যামসাং'এর ভোক্তার চাহিদা বিষয়ক গবেষণা থেকে জানা যায় যে বাঁকানো ফোনের বাজারে চাহিদা রয়েছে। একাধিক ফোন সেট তৈরি কারী প্রতিষ্ঠান নমনীয় স্ক্রিনসহ সেট তৈরি করছে বলে বাজারে গুজব রয়েছে। স্ক্রিনের মাঝখানে কোনো ভাঁজের চিহ্ন ছাড়াই এসব সেটের স্ক্রিনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তবে বিবিসি'কে স্যামসাং জানিয়েছে এবিষয়ে এখনো তাঁদের কাছে 'বলার মতো কোনো তথ্য নেই'। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'আমাকে জোর করে আনা হয়েছে, আর আসবো না' বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত ৪০ লাখ পাউন্ডের লটারি যেভাবে বদলে দিল মেলিসার জীবন সিএনবিসি'কে ডিজে কোহ বলেন ভাঁজ করতে সক্ষম নমনীয় ফোন তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশ 'জটিল' হলেও স্যামসাং এই প্রযুক্তির 'প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ের উন্নয়ন' সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেন একটি নমনীয় স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার আগে যন্ত্রটির উদ্দেশ্য ও চাহিদা সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা হওয়া প্রয়োজন। মি. কোহ বলেন, "নতুন এই নমনীয় ফোন যদি সাধারণ স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্যগুলোই বিদ্যমান থাকে, তাহলে মানুষ এই নতুন যন্ত্র কেন কিনবে?" তাঁর মতে প্রতিটি যন্ত্র, যন্ত্রের প্রতিটি বৈশিষ্ট্য, প্রতিটি নতুন আবিষ্কার গ্রাহকের কাছে অর্থবহ হওয়া জরুরি। মোবাইল ফোন সেটের বাজারে চীনের প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে স্যামসাং'এর অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। অ্যাপলকে টপকে জুলাইয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান হয়েছে হুয়াওয়ে। | Samsung's head of mobile has said it is "time to deliver" foldable smartphones, fuelling speculation the company is about to reveal a bendable device. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | কানপুরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ কানপুর শহরের বাবুপুরা এলাকায় এলাকায় থাকেন মোহাম্মদ শরিফ। জায়গাটা খুবই ঘিঞ্জি, সরু সরু গলি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। টিনের চালা-দেয়া ছোট বাড়ি। একটিই মাত্র ঘর, যার একটা অংশে দিনের বেলায় রান্নাবান্না হয়, রাতে পুরোটাই হয়ে যায় শোয়ার ঘর। ঘরের সামনেই বসে ছিলেন ছিলেন মোহাম্মদ শরিফ। আমাকে দেখে তিনি উঠে দাঁড়ালেন, আমাকে জড়িয়ে ধরলেন - আর ভেঙে পড়লেন কান্নায়। কয়েক মিনিট আমরা কেউ কথা বলতে পারলাম না। "আমি সব হারিয়েছি। আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নেই" - চোখের পানি সামলানোর চেষ্টা করতে করতে বলতে লাগলেন মোহাম্মদ শরিফ। "আমার ছেলে কি দোষ করেছিল, কেন পুলিশ তাকে গুলি করলো?" তার ছেলে মোহাম্মদ রইস মারা গেছেন ২৩শে ডিসেম্বর। ত্রিশ বছরের রইসের পেটে গুলি লেগেছিল। তিন দিন পর তিনি মারা যান। মোহাম্মদ শরিফ, সাথে নিহত ছেলে রইসের ছবি হাতে তার স্ত্রী "আমার ছেলে তো কোন বিক্ষোভও করছিল না। সে রাস্তায় বসে জিনিসপত্র বিক্রি করতো। যেখানে বিক্ষোভ হচ্ছিল - ঘটনাচক্রে সে সেখানে ছিল। কিন্তু যদিবা সে বিক্ষোভ করেও থাকে, তাহলেও কি পুলিশ তাকে মেরে ফেলতে পারে?" মোহাম্মদ শরিফ বলছিলেন, "আমরা মুসলিম বলেই কি তাকে মরতে হলো? আমরা কি এ দেশের নাগরিক নই? আমি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এ প্রশ্ন করেই যাবো!" যে বিক্ষোভে মোহাম্মদ রইস গুলিবিদ্ধ হন - নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের আরো বহু জায়গায় সেরকম বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও। কোথাও কোথাও পাথর-ছুঁড়তে থাকা বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সহিংস সংঘর্ষও হয়েছে। ভারতের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর অন্যতম এই উত্তর প্রদেশ। এখানে বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে অন্তত: ৫০ জন কর্মকর্তা আহত হন। তবে বিক্ষোভকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেবার সুযোগ দিচ্ছে এবং তা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যসূচক। কিন্তু ভারতের বিজেপি সরকার বলছে, যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ ছাড়ছে এ আইনটি তাদের সুরক্ষা দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেছেন, এই আইন মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়। কানপুরের দেয়ালে পোস্টার 'ফেরারী বিক্ষোভকারীদের' ছবিসহ কিন্তু উত্তর প্রদেশ - যেখানে ৪ কোটি মুসলিম বাস করে - এবং ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে "প্রতিশোধ" নেয়া হবে। তিনি বলেছেন, "সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাদের বাড়িঘর বাজেয়াপ্ত করা হবে।" পুলিশ তার নির্দেশ পালন করেছে। তারা "ফেরারী" লোকদের চিহ্নিত করেছে - যাদের অধিকাংশই মুসলিম - এবং কানপুর জুড়ে দেয়ালে দেয়ালে তাদের পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। এর ফলে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেখা দিয়েছে আতংক। বাবুপুরওয়ায় আমার সাথে বেশ কয়েকজন মহিলার কথা হয়, যারা বলেছেন যে তাদের স্বামী-পুত্রেরা গ্রেফতার-নির্যাতনের ভয়ে অন্য শহরে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১০ বছরের ছেলেও আছে। এই ভয় আরো বেড়েছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসির কারণে। "এনআরসির কারণে মানুষকে এখন প্রমাণ করতে হবে যে সে ভারতের নাগরিক" - বলছিলেন কানপুরের মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন নেতা এবং রাজনীতিবিদ নাসিরুদ্দিন। "কল্পনা করুন, একটি মুসলিম পরিবার এবং আরেকটি হিন্দু পরিবার - উভয়েই নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলো। কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ হবার পর এখন হিন্দু পরিবারটি সেই আইন ব্যবহার করে নাগরিকত্ব দাবি করতে পারবে, আর মুসলিম পরিবারটি তার নাগরিকত্ব হারাবে।" কানপুরে বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত বাস ভারত সরকার বলছে, তাদের এখনই জাতীয় নাগরিকপঞ্জী করার কোন পরিকল্পনা নেই। কিন্তু মুসলিম জনগোষ্ঠী ভয় পাচ্ছে যে তারা হয়তো তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার মতো কোন দলিলপত্র দেখাতে পারবে না। নাসিরুদ্দিন আরো বলছেন, এই রাজ্যের মুসলিমরা আরো ভয়ে আছেন, কারণ তারা ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিশ্বাস করেন না। "আমাদের কী দোষ? আমরা গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে কোন ব্যাপারে আমরা একমত না হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু আমাদের রক্ষকই এখন ভক্ষক হয়ে গেছে। আমরা এখন কোথায় যাবো" - বলছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা। এলাকাটির আরো কয়েকটি গলি ঘুরে দেখলাম। সবখানে একই দৃশ্য। পুরুষ এবং বালক দেখা যাচ্ছে খুবই কম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মহিলাদের জটলা - যেন তারা অপেক্ষা করছে, কখন কেউ তাদের দিকে কিছু একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরেকজন মহিলা, তিনিও প্রকাশ করতে চাননি, নিজে থেকেই বললেন, "পুলিশ রাতে আমাদের এলাকায় এসেছিল। বলেছে, তারা সব পুরুষদের গ্রেফতার করবে। তারা আমাদেরকে বলেছে, আমরা যেন বিক্ষোভকারীদের চিনিয়ে দিই।" মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের করা আগেকার কিছু মুসলিম-বিরোধী মন্তব্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টাইলে ভারতের মুসলিমদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছেন, মুসলিম পুরুষদের বিরুদ্ধে হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনেছেন, বলিউড তারকা শাহরুখ খানের সাথে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গী হাফিজ সাঈদের তুলনা করেছেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে প্রধানমন্ত্রী মি মোদী যে 'জোরদার হিন্দু জাতীয়তাবাদের' কথা বলছেন, ঠিক সেটাই অনুসরণ করছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। নাসিরুদ্দিনের কথায়, "উত্তর প্রদেশ এখন এই আদর্শের প্রধান পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে।" রাজ্যের বহু জায়গায় মোতায়েন হয়েছে বিশেষ রায়ট পুলিশ গত কিছুকালের মধ্যে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে হাজার হাজার লোক আটক হয়েছেন যাদের অধিকাংশই মুসলিম, দিনের পর দিন বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সেবা, বহু নেতৃস্থানীয় অধিকার কর্মী আটক হয়েছেন - যার মধ্যে আছেন একজন সাবেক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাও। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা মুসলিমদের ভীতি প্রদর্শন করছে। কানপুর থেকে এমন ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে যাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশই গভীর রাতে মুসলিম-প্রধান এলাকায় গাড়ি ও বাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে। আমার একজন সহকর্মী উত্তর প্রদেশের অন্য কিছু জায়গা থেকেও এমন ঘটনার খবর পেয়েছেন। বিবিসির সংবাদদাতা ইয়োগিতা লিমায়েকে বলা হয়েছে, কানপুর থেকে ৩৬০ মাইল দূরের মুজাফফরনগরে বেশ কিছু জায়গায় মুসলিমদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, একটি বাড়িতে পুলিশ টিভি, ফ্রিজ ও রান্নার হাঁড়িপাতিল সহ সব জিনিসপত্র একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি খবর দেন, তার সাথে এমন পুরুষ ও বালকদের কথা হয়েছে যারা বলেছে পুলিশ তাদের মারধর করেছে, আটক করেছে। বিবিসি হিন্দির সংবাদদাতা জুবায়ের আহমেদও রিপোর্ট করেছেন মীরাট ও বিজনোরের মতো উত্তর প্রদেশের অন্য শহরগুলোতে পুলিশী বর্বরতার অভিযোগের ওপর। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: নাগরিকত্ব আইন: মোদির বিরুদ্ধে লড়ছেন যে তিন নারী ভারতে বিক্ষোভ চলছে: ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের চেষ্টা কেন ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত? দুই ভারতীয় মুসলিম নারী ভাংচুর-তছনছের শিকার হওয়া একটি মুসলিম পরিবারের বাড়ির ভেতরে এই এলাকাগুলোতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় কমপক্ষে আটজন লোক। তাদের পরিবারের লোকের বলছে, পুলিশই তাদের গুলি করেছে - কিন্তু পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে। এসব বিবরণ শুনলে মনে হয়, যেন ঘটনার একটা ছক দাঁড়িয়ে গেছে। লোকজনকে আটক করা, তার পর রাতের বেলা মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় গাড়ি ও বাড়িঘর ভাঙচুর-তছনছ করা। কিন্তু রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা - যিনি আইন-শৃঙখলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত - তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পিভি রামাশাস্ত্রী বিবিসিকে বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং 'ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণের' ভিত্তিতে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, পুলিশ ভিডিও থেকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু তাদের নিজেদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তা করছে না কেন? অনেক শিশু বন্দী অবস্থায় নির্যাতনের অভিযোগ করেছে তিনি জবাব দিলেন, "অভিযোগ করার স্বাধীনতা যে কোন লোকেরই আছে।" পুলিশ কারো বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে এমন অভিযোগও অস্বীকার করলেন তিনি। যখন আমি তাকে কথিত ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখালাম, তখন তিনি বললেন, "কেউ কোথাও একটা ভিডিও পোস্ট করলেই কি হয়ে গেল? তা তো নয়।" "তাকে সেই লোকালয়টা চিহ্নিত করতে হবে, পটভূমি দিতে হবে। কোন একটা ভিডিওর ভিত্তিতে কোন সুনির্দিষ্ট জবাব দেয়া যায় না।" উত্তর প্রদেশ রাজ্যে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাতে পুলিশের কোনোভাবে জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করলেন মি. রামাশাস্ত্রী। বললেন, তদন্ত চলছে। কিন্তু সমাজকর্মী সুমাইয়া রানা বলছেন, পুলিশকে এর দায় নিতে হবে। কানপুরে পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করেছে, অভিযোগ স্থানীয় লোকদের "সহিংসতা দিয়ে কোনকিছুর সমাধান হয় না, কিন্তু এ কথা উভয় পক্ষের বেলাতেই প্রযোজ্য। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেয়া উচিত, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের গুলি করাটাই কি একমাত্র উপায়?" বলেন তিনি। "এতগুলো মানুষ মারা গেল - আমরা দাবি করছি এর একটা সুষ্ঠু তদন্ত হোক।" আমি ঘটনাস্থলে কয়েকজন পুলিশের সাথে কথা বললাম। তাদের কয়েকজন বললেন, তারা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করছেন। নাম প্রকাশ না করে একজন বললেন, তাদের আদেশ দেয়া হয়েছে "যে কোন মূল্যে বিক্ষোভ দমন করতে"। "আমাদের ব্যাটন চার্জ করতে হয়েছে, টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে। নিজের দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করা সহজ নয়। কিন্তু আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে যে পুলিশ আসলে দু'পক্ষের মাঝখানে আটকা পড়ে গেছে।" এর মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো এই বিক্ষোভের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে। বিবিসি বাংলায় আরো রয়েছে: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এতো প্রাণহানি কেন? ভারত সীমান্তে মোবাইল বন্ধ করতে চায় বাংলাদেশ ফিরে দেখা: যেভাবে হয়েছিল ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচন পুলিশের গাড়িরও ক্ষতিসাধন করা হয়েছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি বলছে, বিরোধীদলগুলো মুসলিম যুবকদের বিভ্রান্ত করার জন্যই বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। বিজেপির রাজ্য প্রধান স্বতন্ত্র দেব সিং বিবিসিকে বলেন, "আমরা তিন বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখেছি। কিন্তু এবার রাজনীতির কারণেই সহিংসতা ঘটেছে। সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি সিএএ'র ব্যাপারে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। তারা এসব বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে এবং উস্কানি দিয়েছে।" "সিএএ আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়, কোন ধর্মেরই বিরুদ্ধে নয়। আমাদের সরকার সবার জন্যই কাজ করছে - কোন জাত-ধর্মের বিরুদ্ধে বৈষম্য করছে না। আমরা সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু কাউকেই সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করতে দেয়া যায় না" - বলেন তিনি। কিন্তু যারা নিহত হয়েছে তাদের অধিকাংশই মুসলিম। মি. সিং বলেন, যে কোন মৃত্যুই দু:খজনক কিন্তু এ রাজ্যে যা ঘটেছে তার জন্য বিরোধীদলগুলোই দায়ী। অখিলেশ যাদব সমাজবাদী পার্টির নেতা এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেন। "সরকারকে জবাব দিতে হবে যে কারা এই লোকদের গুলি করেছে। কেন পুলিশ কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিল না?" অখিলেশ যাদব বলেন, "অভিযোগ করা সহজ। এই বিক্ষোভে দেখা গেল রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে বিজেপি কীভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে ব্যবহার করছে অর্থনৈতিক মন্দা আর কর্মসংস্থানের অভাব থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি সরিয়ে দেবার জন্য। তারা ধর্মের ভিত্তিতে রাজ্যকে বিভক্ত করতে চাইছে।" "এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর তার হিন্দুত্ব এজেন্ডাই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। পুলিশযে আচরণ করেছে তা সবার জন্যই এক সতর্কবাণী। আসলে এটা আর রাজনীতির ব্যাপার নয়, এখানে মৌলিক মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে যা রাজ্য এবং দেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।" সুশীল সমাজের লোকেরা বলছেন, সব পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে কিন্তু কেউ উত্তর দিতে ইচ্ছুক নয়। "বাস্তবতা হলো ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্যে ১৯ জন লোক মারা গেছে। তাদের পরিবারের কাছে কাউকে না কাউকে এর একটা জবাব দিতে হবে। আমরা একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে মৃত্যু দিয়ে বিক্ষোভ করার মূল্য দিতে হবে - এটা হতে পারে না" - বললেন রানা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারবার আশ্বাসের পরও ভারতের মুসলমানরা আশ্বস্ত হতে পারছে না | Northern India's Uttar Pradesh has been the worst affected in the ongoing protests against a controversial new citizenship law. At least 19 people have died in the state since protests began on 20 December. The BBC's Vikas Pandey travels to the region to find out why it has witnessed such large-scale and violent protests. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইসরায়েল আর ফিলিস্তিন বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে জেরুসালেম নগরী দেশটির প্রেসিডেন্ট মারিও আব্দো বেনিতেজ বলছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে চান। তবে এর জবাবে ইসরায়েল বলছে, তারা প্যারাগুয়েতে থাকা ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধ করে দেবে। আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা খুব তাড়াতাড়ি দক্ষিণ আমেরিকান এই দেশটিতে দূতাবাস খুলবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্যারাগুয়ের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। আরো পড়তে পারেন: ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে যে দশটি প্রশ্ন জেরুসালেম: যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান জাতিসংঘের জেরুসালেম নিয়ে ট্রাম্প কেন শান্তির পথে হাঁটছেন না গত বছরের ডিসেম্বরে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই প্যারাগুয়ের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোরাসিও কার্টেস তাদের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তখনি দ্বিমত জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী আব্দো বেনিতেজ। জেরুসালেমের মর্যাদা নিয়ে এতো বিতর্ক কেন? কারণ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে এই শহরটি। জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির নিন্দা করেছে ফিলিস্তিনিরা। তারা বলছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা হারিয়েছে। মার্কিন ওই ঘোষণাকে 'অগ্রহণযোগ্য এবং অকার্যকর' ঘোষণা করে বেশিরভাগ সদস্যের ভোটে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। তারা সেটি বাতিলের দাবি জানায়। জেরুসালেমকে চিরস্থায়ী এবং অবিভক্ত রাজধানী হিসাবে মনে করে ইসরায়েল। তবে পূর্ব জেরুসালেমকে নিজেদের ভবিষ্যত রাজধানী হিসাবে দাবি করে ফিলিস্তিন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় থেকে ওই এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে জেরুসালেমের ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'আমাকে জোর করে আনা হয়েছে, আর আসবো না' বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত ৪০ লাখ পাউন্ডের লটারি যেভাবে বদলে দিল মেলিসার জীবন 'ভাঁজ করার' স্মার্টফোন বাজারে আনছে স্যামসাং? | Paraguay's new government has announced that it will move its embassy in Israel back to Tel Aviv - just three months after shifting it to Jerusalem. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | সহিংসতায় আহত একজন নারীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েছে এবং পুরনো শহরের দামেস্ক গেটের কাছে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। জবাবে পুলিশ কর্মকর্তারা স্টান গ্রেনেড এবং জল কামান ব্যবহার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরে যে উত্তেজনা চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দিনের মতো এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল। শুক্রবার রাতে আল-আকসা মসজিদের কাছে সহিংসতায় দুইশ জনের বেশি ফিলিস্তিনি এবং অন্তত ১৭ জন ইসরায়েলি পুলিশ আহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশ জানিয়েছে। আরও পড়ুন: আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জেরুজালেমে কেন প্রার্থনার স্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব? জেরুজালেম রাজধানীর স্বীকৃতি পেলে বিপদ কোথায়? আরব-ইসরায়েল সংঘাত শুরু যে ৬৭ শব্দের অনুচ্ছেদে দ্বিতীয় রাতের মতো জেরুজালেমে পুলিশ এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতা চলেছে, যাতে বহু মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র, কিন্তু সেটি এলাকাটি ইহুদি ধর্মাবলম্বীদেরও একটি তীর্থস্থান, যাকে টেম্পল মাউন্ট বলা হয়। এই এলাকায় প্রায়ই দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, তবে শুক্রবারের সহিংসতা ছিল এই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তীব্র। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনায় যেসব দেশ ভূমিকা রাখে, সেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং জাতিসংঘ এই সহিংসতার ব্যাপারে 'গভীর উদ্বেগ' জানিয়েছে। সর্বশেষ যা ঘটেছে শনিবারের সহিংসতার শুরু হয় জেরুজালেমের দামেস্ক গেটে যখন ইসলাম ধর্মের পবিত্র রাত লাইলাতুল আল-কদর উপলক্ষে হাজার হাজার মুসলমান আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এর আগে শনিবার মসজিদ অভিমুখে নামাজীদের নিয়ে যাওয়া অনেক বাস আটকে দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। শুক্রবারের সহিংসতার কারণে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ''তারা আমাদের নামাজ পড়তে দিতে চায় না। সেখানে প্রতিদিনই লড়াই করতে হচ্ছে, প্রতিদিনই সহিংসতা হচ্ছে। প্রতিদিনই সেখানে সমস্যার তৈরি হচ্ছে,'' রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন সাতাশ বছরের মাহমুদ আল-মারবুয়া। মুসলিম ও ইহুদি উভয় ধর্মেরই পবিত্র স্থান বলে পরিগণিত আল-আকসা মসজিদের সামনে মোতায়েন করা ইসরায়েলি পুলিশ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সবার প্রার্থনা করার অধিকার রক্ষার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে তার দেশ। তবে একে ইসরায়েলের 'পাপীদের আক্রমণ' বলে অভিহিত করেছেন ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস। সহিংসতার পেছনের কারণ ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। পুরো শহরকে তারা নিজেদের রাজধানী বলে মনে করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ দেশ তাতে স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা দাবি করে, পূর্ব জেরুজালেম হবে তাদের স্বাধীন দেশের রাজধানী। ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় প্রতিদিনই কলহ তৈরি হচ্ছে। জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি আহবান জানিয়েছে যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয় এবং ''বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়''। জোর করে বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহবান জানিয়েছে আরব লীগ। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলার বিষয়ে সোমবার একটি শুনানি করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশে ফেরিঘাটে জনস্রোত ঠেকাতে রবিবার থেকে বিজিবি মোতায়েন ভারতের কোভিড সংকটের ধাক্কায় মোদী ব্র্যান্ডের কতটা ক্ষতি হলো করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পেলে কী হবে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলো বাংলাদেশে | Fresh clashes between Palestinians and Israeli police broke out in Jerusalem on Saturday, injuring dozens. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | অনলাইনের 'ইপসস মরি' জরিপে অংশ নেন ১৯ হাজার চারশো আটাশ জন। জরিপের হিসাব অনুযায়ী, ইউরোপের ২৭টি দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন তারা 'জাতিগতভাবে অনেক বেশি বিভক্ত'। বিশ্বব্যাপী যে উত্তেজনা চলছে তার মূল কারণ রাজনীতি- এমনটা মনে করেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ব্রিটেনে অভিবাসী ও সেদেশের নাগরিকদের মধ্যে স্পষ্ট বিভক্তি আছে বলে মনে করেন পঞ্চাশ শতাংশ ব্রিটিশ। আরো পড়ুন: 'ভাইয়া আমারে বাঁচান, হাতটা ছুটায়া দেন' ব্রিটেনে তারেক রাজনৈতিক আশ্রয়ে, বললো বিএনপি কোন অঞ্চলে কতটা বিভাজন 'সবচেয়ে বিভক্ত' অঞ্চল ইউরোপ জরিপে উত্তরদাতাদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ মনে করেন তাদের সমাজে বিভক্তি রয়েছে। আর এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের মতে তাদের সমাজে "অনেক বেশি বিভক্তি"। বেশিরভাগই বলছেন যে তাদের দেশে এখন যে ধরনের বিভক্তি দেখা যায়, দশ বছর আগেও এই ধরনের বিভাজন ছিল না । তবে মাত্র ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, বর্তমানে সমাজে বিভক্তির মাত্রা কমে গেছে। সমাজে দুশ্চিন্তা বিভাজনের ধারণা (আর্ন্তজাতিকভাবে) ৪৪% মনে করেন রাজনৈতিক আদর্শের কারণে সবচেয়ে বেশি বিভাজন দেখা যায় ৩৬% ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য ৩০% জন্মগতভাবে নাগরিক এবং অভিবাসী নাগরিকদের মধ্যে বিভাজন ২৭% বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন ২৫% বিভিন্ন জাতির মধ্যে ১১% বৃদ্ধ ও তরুণ এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে ইউরোপের চিত্র জরিপে ১১টি ইউরোপিয়ান দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, দেশগুলো হলো- বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইটালি, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন, সুইডেন, সার্বিয়া এবং যুক্তরাজ্য। সার্বিয়ায় সবচেয়ে বেশি বিভাজন এমন তথ্য জরিপে উঠে আসে। তিরানব্বই শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন তাদের সমাজে 'খুব বেশি বিভক্তি' বা 'মোটামুটি বিভক্তি' দেখা যায়। ইউরোপের চিত্র "ইউরোপের সব দেশেই একই ধরনের ট্রেন্ড দেখা যায়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অন্তত চারজনের মধ্যে তিনজনের বক্তব্যে দেকা যায় তাদের সমোজে হয় 'অনেক বিভক্তি' নয়তো 'মোটামুটি বিভক্তি'।" - বলছিলেন ইপসস মরি'র কর্মকর্তা গ্লেন গটফির্ড যিনি পুরো কার্যক্রমটি দেখছেন। মি: গটফির্ড বলছিলেন, ইউরোপিয়ানরা বিশ্বাস করেন সমাজে যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে তার চেয়ে বেশি সেটা বলা হয়েছে। "বিশ্বে রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং যেভাবে বৈশ্বিক রাজনীতির চিত্র বদলাচ্ছে অথবা আমাদের মহাদেশের বিভিন্ন অংশে যেমনটা দেখেছি সেটার একটা প্রতিচ্ছবি হতে পারে এটি। অথবা রাজনৈতিক অবস্থার কারণে মানুষ এমনটা ভাবতে পারে। একটার সাথে আরেকটার সম্পর্ক আছে" বলছিলেন মি: গটফির্ড। লাতিন আমেরিকার রেষারেষি লাতিন আমেরিকার জরিপে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে যেমন - আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, চিলি এবং পেরু - চার ভাগের তিন ভাগে উত্তরদাতা বড় ধরনের বিভাজন আছে বলে মনে করেন। এই বিভক্তি রাজনৈতিকভাবে খুব বেশি, তবে অর্থনৈতিক প্রভাবও লক্ষণীয়। আর্জেন্টিনায় দুশ্চিন্তার ধারণা সবচেয়ে প্রকট। বিরানব্বই ভাগ উত্তরদাতারা মনে করেন দেশটি খুব বেশি বা মোটামুটি বিভক্ত; আর চল্লিশ ভাগ মানুষ মনে করেন এই বিভাজন গত ১০ বছরে আরো বেড়েছে। সত্তর ভাগের মতো আর্জেন্টিনার নাগরিক মনে করেন এই বিভাজনের মূল কারণ রাজনৈতিক মতাদর্শ। "এটি খুব, খুব বেশি," মি. গটফির্ড বলছিলেন। "মালয়েশিয়া বাদে, রাজনৈতিক কারণে আর্জেন্টিনাতেই সবচেয়ে বেশি মতবিরোধ দেখা যায়"। ইউরোপ থেকেও লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক বিভাজনটা বেশি বলে গবেষণাতে উঠে এসেছে। আর অর্ধেকেরও বেশি উত্তরদাতারা মনে করেন "মেরুকরণের ফলে" এই বিভাজনটা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, ৬৮ ভাগ ইউরোপিয়ান মনে করেন, গত দশকে এ ধরনের বিভক্তি আরো বেড়েছে, কিন্তু লাতিন আমেরিকার কম মানুষই (৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা) এমনটি মনে করেন। দেশগুলোতে কতটা বিভাজন দেখা যায় সহিষ্ণু হয়ে উঠছে বিশ্ব? মি: গটফির্ড বলছেন, এই জরিপে কিছু ইতিবাচক তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা একমত যে, মানুষের মধ্যে এখন পার্থক্য থেকে সাদৃশ্যই বেশি। "খুব কম সংখ্যক মানুষ মনে করেন যে ভিন্ন ধারার, সংস্কৃতির কিংবা আদর্শের মানুষের সাথে যোগাযোগ কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে," তিনি বলছিলেন। এক-তৃতীয়াংশ মনে করেন এমন মিথস্ক্রিয়া কিছু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করলেও তা দূর করা সম্ভব। চল্লিশভাগ উত্তরদাতার মতে, এ ধরনের যোগাযোগ পারস্পরিক সম্পর্ক এবং শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দেয়। কানাডার ৭৪ শতাংশ, চীনের ৬৫ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ার ৬৪% উত্তরদাতা মনে করেন, তাদের সমাজ "খুব" বা "মোটামুটি" সহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: 'অভিনেত্রী হতে চাইলে যৌন সম্পর্ক করতে হবে' পৃথিবীর প্রথম পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষ প্রতিস্থাপন ‘আজ কোথায় বাংলাদেশ, আর কোথায় পাকিস্তান?' | Most Europeans believe their countries are more polarised than 10 years ago, and 47% see their societies as less tolerant, a poll for the BBC suggests. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | সদ্যোজাত যমজ সন্তান দেখতে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো আমেরিকা রওনা হয়েছেন বলে খবর গত কয়েকদিন ধরে পর্তুগালের সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর বেরচ্ছিল যে আমেরিকায় একজন সারোগেট মা তার দুই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু চিলের কাছে পেনাল্টিতে তার জাতীয় দল হেরে যাবার পর তিনি খবরটি স্বীকার করে ঘোষণা দিলেন। wFacebook -এ রোনাল্ডো বলেছেন : ''আমার বাচ্চাদের প্রথমবারের মত দেখতে যাছি - আমি দারুণ খুশি।'' আগেই একটি ছেলে রয়েছে রোনাল্ডোর - নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো জুনিয়র। জন্ম ২০১০ সালের জুন মাসে। রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রোনাল্ডো তার মেসেজ শুরু করেছেন এই বলে যে সন্তান জন্মের খবর পাওয়ার পরেও তিনি "দেহ-মন'' দিয়ে জাতীয় দলের জন্য খেলেছেন, কিন্তু ''দুঃখজনক যে আমরা খেলায় আমাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি।'' তার যমজ সন্তান সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানা যায় নি। তবে পর্তুগাল থেকে অসমর্থিত খবরে বলা হচ্ছে ৮ই জুন তার যমজ সন্তান জন্মেছে- কনফেডারেশন কাপ শুরু হবার অনেক আগেই। দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে বলা হয়েছে যমজ সন্তানেদের একটি ছেলে ও অন্যটি মেয়ে- তাদের নাম এভা আর মাতেও। অন্যান্য খবরে আরও বলা হয়েছে রোনাল্ডোর মা ডলোরিস অ্যাভেইরো শিশু দুটি জন্মানোর পরই আমেরিকা চলে গেছেন। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে কনফেডারেশন কাপের আগে রোনাল্ডো তাদের জানিয়েছিলেন তিনি আবার বাবা হয়েছেন। কিন্তু তিনি রাশিয়ায় টিমের সঙ্গে খেলতে যেতে চান। ফেডারেশন বলেছে তার এই সিদ্ধান্তকে তারা মনে করে ''খুবই প্রশংসাযোগ্য এবং উল্লেখ করার মতো।'' তেসরা জুন ইউএফা চ্যাম্পিয়ানস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিজয়ের পর প্রেমিকা জর্জিনা রডরিগাজ ও ছেলে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো জুনিয়রের সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। রোনাল্ডো রোববার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলছেন না এবং আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন বলছে, ''তাকে দল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি যাতে তিনি নবজাতকদের কাছে যেতে পারেন।'' বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি আমেরিকার পথে পাড়ি জমিয়েছেন। পর্তুগালের সংবাদমাধ্যমে এখন জোর গুজব রোনাল্ডোর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা মডেল জর্জিনা রডরিগাজও সন্তানসম্ভবা। রোনাল্ডো সোশাল মিডিয়ায় তার প্রেমিকার পেটের ওপর হাত রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ এই ছবিটি পোস্ট করার পর থেকে এই গুজব ছড়িয়েছে। গত মাসে ২৬শে মে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো তার প্রেমিকা জর্জিনা রডরিগাজের সঙ্গে এই ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। | Hours after he captained Portugal to semi-final defeat in the Confederations Cup in Russia, Cristiano Ronaldo has announced the birth of twins. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | হামলার দিনের চিত্র সেনেট কমিটিতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় তারা বলেন, "দাঙ্গাকারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলো"। ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থী বিক্ষোভকারীদের কংগ্রেস ভবনে ওই হামলার ঘটনায় অন্তত চার জন নিহত হয়েছিলো। ওই হামলার পর পদত্যাগ করা চারজন কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন মঙ্গলবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে সাক্ষ্য দেন। ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট কোন্তে আইনপ্রণেতাদের বলেছেন দাঙ্গাকারীদের দমনে পেন্টাগন থেকে ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপস মোতায়েনে এত বেশি সময় লেগেছিলো যা তাকে বিস্মিত করেছে। ডেমক্র্যাটরা ওই হামলায় উস্কানি দেয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নিয়েছিলো। পরে সেনেটে দুই তৃতীয়াংশ ভোট না থাকায় মিস্টার ট্রাম্প শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যান। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিলে হামলা: নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে ইতিহাস কীভাবে মনে রাখবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিদায়কে? আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা কি এই প্রথম? ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে বিক্ষোভকারীরা কর্মকর্তারা যা বলেছেন ক্যাপিটল পুলিশের সাবেক প্রধান স্টিভেন সান্ড বলেছেন ক্যাপিটল হিল থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দুরে রাখার জন্য পাইপ বোমা রাখা হয়েছিলো। "দাঙ্গাকারী গ্রুপ যখন যখন সিকিউরিটি এরিয়ায় আসে তারা অন্য সাধারণ প্রতিবাদকারীদের মতো করে আসেনি। এটি আর কখনোই দেখিনি আমি," বলছিলেন তিনি। তিনি বলেন ফেডারেল এজেন্সিগুলোর মধ্যে সমন্বিত ও পূর্ণাঙ্গ গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ছিলো। ক্যাপিটল পুলিশ ক্যাপ্টেন কারনেসা মেনডজা কমিটিতে বলেন, তার মুখে রাসায়নিক দ্রব্য ছুড়েছিলো হামলাকারীরা যা থেকে এখনো তিনি সেরে ওঠেননি। "এক সাথে এত কিছু হয়েছে যে আমার ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে এটিই ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ," বলছিলেন তিনি। তিনি মনে করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে আরও অন্তত দশগুণ লোকবল থাকা দরকার ছিলো। মিস্টার সান্ড ঘটনার পরপর পদত্যাগ করেছিলেন এই কর্মকর্তা বলেন এফবিআই রিপোর্টে হামলাকারীদের যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বলা হলেও সেটি হামলার আগে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার কাছে পৌঁছায়নি। আর কর্মকর্তারা মিলিটারি ট্রুপস চাননি এমন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেন সাবেক সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস পল ইরভিং। আর সাবেক সেনেট সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস মাইকেল স্টেনজার বলেন, " আমরা সবাই একমত যে ইন্টেলিজেন্স সাপোর্ট পাওয়া যায়নি"। ওদিকে সেনেটর আমি ক্লবুচার জানিয়েছেন যে ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপস ডাকার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে পেন্টাগন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য দিতে ডাকা হবে। সহিংসতায় পাঁচজন নিহত হয়েছিলো ক্যাপিটল হিলে যা ঘটেছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক হাজার সমর্থক দেশটির ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়েছিলো। তখন নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে অনুমোদন করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। সহিংসতার যেসব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে - সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উন্মত্ত সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলের ভেতরে ঢুকে সেখানে ঘুরে ঘুরে কতোটা তাণ্ডব চালাতে সক্ষম হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের দেখা গেছে তারা ভবনের ভেতরে ভাঙচুর চালাচ্ছে, ছবি তুলছে, এমনকি অনেকে তাদের এই তাণ্ডবলীলা সোশাল মিডিয়াতেও সরাসরি সম্প্রচার করেছে। সেনেটের অধিবেশন কক্ষে ঢোকার জন্য বারান্দা টপকে ঢোকেন একজন বিক্ষোভকারী অনেকে ভবনের ভেতর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে - যেগুলোকে মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। টেলিভিশনে এবং অনলাইন মিডিয়াতে এই আক্রমণের খবর সারা বিশ্বে প্রচার হওয়ার সাথে সাথে অনেকেই সেখানে মোতায়েন থাকা ক্যাপিটল পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভবনটির নিরাপত্তার জন্যে সেখানে প্রায় ২০০০ সদস্যের একটি বাহিনী ক্যাপিটল পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়। | US Capitol security officials who were ousted in the wake of the 6 January attack on Congress have blamed intelligence failures for the breach. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। ৭৪ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট এবং ৫০ বছর বয়সী ফার্স্ট লেডি করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। তবে মিঃ ট্রাম্পের চিকিৎসক শন কনলি একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি "এই সময়ে দুজনই ভাল আছেন, এবং তারা সেরে না ওঠা পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের ঘরেই থাকবেন"। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "আমি আশা করি যে প্রেসিডেন্ট এই সময়ের মধ্যে বিনা বাধায় তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন এবং আমি সব খবর আপনাদের জানাবো।" ট্রাম্পের নিকটতম সহযোগীদের একজন করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার পরে বিষয়টি সামনে আসে। ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন যে, তার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হোপ হিকস স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তিনি এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কোয়ারেন্টিনে আছেন। প্রেসিডেন্টের নিকটতম কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩১ বছর বয়সী এই উপদেষ্টা এখন অবধি প্রথম কেউ যার করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছে। তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে ওহাইওতে ট্রাম্পের সাথে ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল টিভি বিতর্কে যোগ দিতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন। মিস. হিকস কোনও মাস্ক ছাড়াই ক্লিভল্যান্ডে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের জেট থেকে নেমেছিলেন, এমন ছবি প্রকাশ হয়েছে। বিতর্কে অংশ নেওয়া মিঃ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের কয়েকজনের মুখেও কোন মাস্ক দেখা যায়নি। বুধবার মিনেসোটাতে এক সমাবেশ করার সময় হোপ হিকস প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানে প্রেসিডেন্টের আরও কাছাকাছি ছিলেন। আরও পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: অবশেষে মাস্ক পরলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার মাস্ক নিয়ে সুর পাল্টালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প হোপ হিকস হোয়াইট হাউস যোগাযোগ পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। মিঃ ট্রাম্প কী বলেছেন? মি. ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আজ রাতে তিনি এবং ফার্স্টলেডি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। আমরা আমাদের কোয়ারেন্টিন এবং সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করবো। আমরা একসাথে এর থেকে বেরিয়ে আসবো।" এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে তিনি টুইট করেছিলেন: "হোপ হিকস, যিনি কোন বিরতি না নিয়ে এত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন, তিনিও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন। ভয়ঙ্কর!" "ফার্স্ট লেডি এবং আমি আমাদের পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি, এই সময়ের মধ্যে, আমরা কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রক্রিয়া শুরু করবো!" প্রেসিডেন্ট কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ১৫ই অক্টোবর নির্ধারিত দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট বিতর্কের ব্যবস্থাপনায় কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনও পরিষ্কার নয়। বৃহস্পতিবার রাতে ফক্স নিউজের সঞ্চালক শন হ্যানিটির সাথে একটি ফোন কলে মিঃ ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি এবং মিসেস ট্রাম্প "হোপের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন"। "সুতরাং আমরা দেখব, কী হয়," প্রেসিডেন্ট বলেন, মিস হিকস প্রায়শই মাস্ক পরতেন তারপরও তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি নিজেই বলেন যে, ''মাস্ক পড়া খুব ভালো একটা ব্যাপার,''। মিঃ ট্রাম্প বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন এবং সরকারী কাজের সময় প্রায়শই তার সহযোগী বা অন্যদের সাথে সামাজিকভাবে দূরত্ব মানতেন না বলে ছবিতে দেখা গেছে। ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, মিস হিকসের শরীরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করলে মিনেসোটা থেকে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে তাকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিল পলিটিক্যাল নিউজ আউটলেট জানিয়েছে যে, হোপ হিকসের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এবং এ সংক্রান্ত উপযুক্ত নোটিফিকেশন এবং সুপারিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে"। বৃহস্পতিবার রাতে ফক্স নিউজের সঞ্চালক শন হ্যানিটির সাথে একটি ফোন কলে মিঃ ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি এবং মিসেস ট্রাম্প "হোপের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন"। "সুতরাং আমরা দেখব, কী হয়," প্রেসিডেন্ট বলেন, মিস হিকস প্রায়শই মাস্ক পরতেন তারপরও তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন। মিঃ ট্রাম্প বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন এবং সরকারী কাজের সময় প্রায়শই তার সহযোগী বা অন্যদের সাথে সামাজিকভাবে দূরত্ব মানতেন না বলে ছবিতে দেখা গেছে। ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, মিস হিকসের শরীরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করলে মিনেসোটা থেকে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে তাকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিল পলিটিক্যাল নিউজ আউটলেট জানিয়েছে যে, হোপ হিকসের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এবং এ সংক্রান্ত উপযুক্ত নোটিফিকেশন এবং সুপারিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে"। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে। হোয়াইট হাউসে আর কেউ করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন? মিস হিকস হোয়াইট হাউস সর্বশেষ কেউ যিনি কোভিড -১৯ পজিটিভ হয়েছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব কেটি মিলার মে মাসে করোনাভাইরাস পজিটিভ হন। এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। একই মাসে, ইউএস নেভির একজন সদস্য যিনি মিঃ ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ভ্যালেটগুলোর একজন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনিও করোনাভাইরাস পজিটিভ হন। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের কেউই তাদের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েননি। জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা রবার্ট ও'ব্রায়ান, সিক্রেট সার্ভিসের বেশ কয়েকজন এজেন্ট, একজন মেরিন ওয়ান পাইলট এবং হোয়াইট হাউসের ক্যাফেটেরিয়া কর্মীও স্বাস্থ্যপরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছিলেন। মিস হিকস হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক হওয়ার এর আগে মিঃ ট্রাম্পের প্রার্থিতার সময় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার মুখপাত্র ছিলেন। তিনি ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগে, রুপার্ট মারডকের ফক্স নিউজের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তার চাকরি থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এ পদত্যাগ করেছিলেন। করোনাভাইরাস ৭২ লাখেরও বেশি আমেরিকান সংক্রামিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। হোয়াইট হাউস সহায়তাকারী যারা প্রেসিডেন্টের সংস্পর্শে আসেন, প্রতিদিন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। হোপ হিকস প্রায়শই অন্যান্য সহযোগীদের সাথে প্রেসিডেন্টের সাথে ভ্রমণ করতেন। হোপ হিকস কে? •যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের গ্রিনউইচে বেড়ে উঠেছেন। •কৈশোরে মডেলিং শুরু করেন একবার রাল্ফ লরেনের বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা গিয়েছিল। •আগে একটি জনসংযোগ সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানটি ইভানকা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্যবসা এবং ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ব্র্যান্ড পরিচালনার কাজ করতো। •২০১৪ সালে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে যোগ দেন এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বছর পরে তাকে তার প্রচার দলে নিয়ে আসেন। •মিঃ ট্রাম্প তাকে "হোপস্টার" নামে ডাকতেন, তিনি তাঁর অন্যতম বিশ্বস্ত সহায়ক এবং এমন কিছু লোকের মধ্যে তিনি আছেন যারা ট্রাম্পকে তার মতামত পরিবর্তন করতে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। | US President Donald Trump has said he and First Lady Melania Trump have tested positive for coronavirus and are now self-isolating. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | রানওয়ের দুই পাশে গভীর উপত্যকা রয়েছে। এ বিমানবন্দরটি ভারতের শততম বিমানবন্দর । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার এ বিমানবন্দর উদ্বোধন করেন। পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘা এখানে অবস্থিত। এ রাজ্যের সাথে তিব্বত, ভুটান এবং নেপালের সংযোগ রয়েছে। সিকিম রাজ্যের রাজধানী গ্যাংটক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এ বিমানবন্দরটি অবস্থিত। পেকং গ্রামে এ বিমানবন্দর অবস্থিত। চীনের সীমান্ত থেকে এ বিমানবন্দরটির দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫০০ ফুট উঁচুতে ২০১ একর জায়গায় উপর পেকং গ্রামে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১.৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রানওয়ের দুইপাশে গভীর উপত্যকা রয়েছে। বিমানবন্দরটিতে দুটি পার্কিং বে এবং একটি টার্মিনাল ভবন রয়েছে। একসাথে ১০০ যাত্রী ব্যবস্থাপনা করা যাবে এখানে। বিমান বন্দর যে জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে সেখানকার মাটি যাতে না ভাঙ্গে সেজন্য চারপাশে দেয়াল দেয়া হয়েছে। একদিকে প্রাকৃতিক গঠন এবং অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ বিমানবন্দর নির্মাণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। পুরো কাজ শেষ করতে নয় বছর সময় লেগেছে। প্রকৌশলীরা বলছেন বিমান বন্দর নির্মাণে সময় প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল দুটি। প্রথমত; রানওয়ে তৈরির সময় মাটির কাজ করা এবং দ্বিতীয়ত; পর্বতের সরু রাস্তা দিয়ে মালামাল বহন করা। এ বিমান বন্দর তৈরি করতে নয় বছর সময় লেগেছে। সিকিম অঞ্চলে বর্ষাকাল থাকে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। এ সময়টিতে নির্মাণ কাজের অনেক ব্যাঘাত হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য ভূমি এবং ভূমিকম্পের প্রবণতা বেশি থাকার কারণে নির্মাণ কাজে বাড়িত চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে। বিমানবন্দরের চারপাশে গভীর উপত্যকা থাকার কারণে নিচ থেকে বিমানবন্দরের ভূমি পর্যন্ত ২৬৩ ফুট উঁচু দেয়াল দেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি অনেকের নজরে আসবে। বিমানবন্দর নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় কোম্পানি জানিয়েছে এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দেয়ালগুলোর অন্যতম। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে এ বিমানবন্দরটিতে বাণিজ্যিক ফ্লাইট কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হবে। আরও পড়তে পারেন: যেসব বিমানবন্দর এবং সংস্থা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় সংস্কার করা হবে নেপালের ঝুঁকিপূর্ণ ত্রিভুবন বিমানবন্দর ফিলিস্তিনে বন্ধ হয়ে যাওয়া এক বিমানবন্দর। ১৯৯৮ সালে এটি চালু হয়েছিল। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের চিত্র। আশা করা হচ্ছে, এ বিমানবন্দরটি সিকিমের পর্যটন খাতকে আরো এগিয়ে নেবে। সিকিম অঞ্চলে বেশ কিছু উঁচু পর্বতের চূড়া, হিমবাহ এবং লেক রয়েছে। | India's 100th airport, inaugurated by Prime Minister Narendra Modi in the northern-eastern state of Sikkim on Monday, is arguably one of the world's most beautiful. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | মহাকাশ কেন্দ্রের ভেতরে জেসিকা মায়ার এবং ক্রিস্টিনা কচ। বিকল হয়ে যাওয়া একটি 'পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট' প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে সাত ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন। এর আগেও আরও চারবার মহাকাশে হেঁটেছেন মিজ কচ । তবে, মিজ মায়ারের জন্য এটিই ছিল প্রথম মহাকাশ মিশন। নাসা জানিয়েছে, জেসিকা মায়ার হলেন মহাকাশ হাঁটায় অংশ নেয়া ১৫তম নারী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিডিও কল দিয়ে এই দুই নভোচারীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অভিনন্দন জানাতে গিয়ে মি. ট্রাম্প এই দুই নভোচারীকে 'সাহসী ও মেধাবী নারী' বলে বর্ণনা করেছেন। মিজ কচ একজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার। আর মিজ মায়ার মেরিন বায়োলজিতে ডক্টরেট করেছেন। শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় বেলা ১১:৩৮ মিনিটে তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে যান। এ সময়ে তাদের গায়ে ছিল নাসার স্পেস-স্যুট বা মহাকাশযাত্রায় ব্যবহারের উপযোগী বিশেষ পোশাক। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস। এই দুই নভোচারীর হাঁটার গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের পোর্ট-৬ ট্রাস স্ট্রাকচার নামক একটি স্থান। সেখানে পৌঁছে তারা ব্যাটারি চার্জ-ডিসচার্জ ইউনিট (বিসিডিইউ) প্রতিস্থাপন করেছেন। প্রতিস্থাপন শেষ করে তারা বিকল হয়ে যাওয়া সেই যন্ত্রাংশ নিয়ে ফিরে আসেন। দুই নারী নভোচারীর এই মহাকাশ-যাত্রাকে 'ঐতিহাসিক ঘটনার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ' বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কামালা হ্যারিস। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত শুধু নারী নভোচারীদের একটি দল মহাকাশে হাঁটলেন। এটি কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনাই নয়। নারীরা যে আকাশকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে, এই ঘটনা তাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে। মার্চ মাসে নাসা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, এই প্রথম শুধু নারীদের দিয়ে গঠিত একটি দল মহাকাশ যাত্রায় যাচ্ছে। সেই দলে মিজ কচ ও তার সহকর্মী অ্যানি ম্যাকক্লেইন-এর নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তখন সেই মিশন স্থগিত করা হয়েছিল। কারণ মিজ ম্যাকক্লেইনের গায়ের উপযোগী মধ্যম আকৃতির মহাকাশ-স্যুট পাওয়া যাচ্ছিলো না। মহাকাশে প্রথম যে নারী হেঁটেছিলেন তিনি হলেন রাশিয়ার নাগরিক স্ভেৎলিনা সাভিৎস্কায়া। ১৯৮৪ সালের ২৫শে জুলাই তিনি স্পেস স্টেশনের বাইরে ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় কাটিয়েছিলেন। আর মহাকাশে হাঁটা প্রথম মানুষটির নাম অ্যালেক্সি লিওনভ। এই মাসের শুরুর দিকেই ৮৫ বছর বয়সে মি. লিওনভ মারা গেছেন। এই মঙ্গলবারেই নাসা নতুন এক ধরণের স্পেস স্যুটের ঘোষণা করেছে। পৃথিবী থেকে চাঁদে পরবর্তী যে মিশনটি যাবে, সেটির নভোচারীরা হয়তো নতুন এই মহাকাশ-বর্মটি পরার সুযোগ পাবেন। নাসা বলছে, নতুন এই স্পেস স্যুট এমনভাবেই নকশা করা হয়েছে যে, এটি যেই নভোচারী পড়বেন তার আকার বা আকৃতি নিয়ে ভাবতে হবে না। কারণ ব্যক্তির গায়ের গড়ন যাই হোক না কেন, নতুন এই পোশাকে রয়েছে নভোচারীর শরীরের সাথে প্রয়োজন-মাফিক কাস্টমাইজড করে নেয়ার সুবিধা। স্পেস-স্যুট পরে বাইরে বেরুনোর প্রস্তুতি চলছে। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: হিন্দি-উর্দুর আগ্রাসন রোধে কলকাতায় অভিনব প্রচারণা 'পাকিস্তান - ভারত পরমাণু যুদ্ধ ২০২৫ সালে' রাক্ষুসে মাছ স্নেকহেড: দেখামাত্রই হত্যার নির্দেশ | Nasa astronauts Christina Koch and Jessica Meir have made history by completing the first ever all-female spacewalk. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ইরানের হয়ে অলিম্পিকস পদক জেতা প্রথম নারী খেলোয়াড় কিমিয়া আলীজাদেহ একুশ বছর বয়সী মিস আলীজাদেহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, তিনি ইরান ত্যাগ করেছেন কারণ তিনি "ভণ্ডামি, মিথ্যা, অবিচার এবং চাটুকারিতার অংশ হতে চান না"। তিনি নিজেকে "ইরানের লাখ লাখ নিপীড়িত নারীদের একজন" বলে বর্ণনা করেন। যদিও খবরে বলা হয়েছে তিনি নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, কিন্তু আলীজাদেহ তার বর্তমান অবস্থান প্রকাশ করেননি। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকসে তায়কোয়ান্দোতে ইরানের হয়ে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়েন আলীজাদেহ। কিন্তু ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখছেন ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি তার সেই সাফল্যকে প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য ব্যবহার করেছে। এমন সময় তিনি এই পক্ষত্যাগের ঘোষণা দিলেন যখন ভুল করে যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার ইস্যুতে ইরানে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কর্মকর্তারা 'আমাকে অপদস্থ করেছে' তিনি লেখেন, "আমি সেইসব লাখ লাখ নিপীড়িত নারীর একজন, ইরান যাদের নিয়ে বছরের পর বছর ধরে খেলেছে"। "তারা আমাকে যা লিখতে বলেছে তাই লিখেছি। তাদের নির্দেশমতোই বলেছি। তাদের নির্দেশিত প্রত্যেকটি লাইন আমাকে বলতে হয়েছে। তাদের কাছে আমাদের কোন গুরুত্ব নেই। আমরা স্রেফ উপকরণ"। তিনি আরো লেখেন, যদিও সরকার তার সাফল্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে, কিন্তু কর্মকর্তারা তাকে নানাভাবে কথার প্যাচে ফেলে অপদস্থ করতো। যেমন তারা বলতো, 'ধার্মিক নারীদের পা ছড়ানো উচিত না'। ইউরোপে নিমন্ত্রণ পাওয়া কিংবা কোন লোভনীয় প্রস্তাব পাওয়ার অস্বীকার করেছেন আলীজাদেহ। তিনি কোন দেশে গেছেন সেটাও নিশ্চিত করেননি। গত সপ্তাহে যখন আলীজাদেহর পালিয়ে যাবার খবর প্রথম চাউর হয় তখন ইরানীরা চমকে ওঠে। ইরানী রাজনীতিবিদ আবদোলকরিম হোসেইনজাদেহ ইরানের 'মানবসম্পদ পালিয়ে যাবার' জন্য দেশটির 'অযোগ্য কর্মকর্তাদের' দায়ী করেন। বৃহস্পতিবার আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনা খবর দেয়, "ইরানের তায়কোয়ান্দোতে আঘাত। কিমিয়া আলীজাদেহ নেদারল্যান্ডসে অভিবাসী হয়েছেন"। সংস্থাটি আরো খবর দিচ্ছে, আলীজাদেহ ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকসে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তবে সেটি ইরানের হয়ে নয়। ইরান ত্যাগের ইচ্ছের ঘোষণা দেয়া এই নারী ক্রীড়াবিদ অবশ্য তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাননি। তবে বলেছেন, তিনি যেখানেই থাকেন না কেন সবসময় 'ইরানের সন্তান'ই থাকবেন। আরো খবর: ফিলিপিন্সের আগ্নেয়গিরিতে 'বিপজ্জনক অগ্নুৎপাতের' আশঙ্কা একুশ বছর ধরে বাসে ঘুমিয়েছেন 'নাইট রাইডার' দাবানলের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জন্ম নিচ্ছে নতুন প্রাণ | Iran's only female Olympic medallist, Kimia Alizadeh, says she has defected. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের খবর সঠিকভাবে প্রকাশ না করায় চীনের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা হচ্ছে জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাঢানম গেব্রেইসাস সাংবাদিকদের বলেছেন, "এখন রোগটির একটি নতুন নাম রয়েছে আমাদের কাছে। সেটি হলো কোভিড-১৯।" এটি 'করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়ানোর পর এই ঘোষণা এলো। ডাক্তার গেব্রেইসাস বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আগ্রাসীভাবে এই নতুন ভাইরাসের মোকাবেলা করার জন্য। করোনাভাইরাস শব্দটি রোগ সৃষ্টিকারী নতুন ভাইরাসটিকে উল্লেখ না করে ঐ গ্রুপের সব ভাইরাসকে ইঙ্গিত করে। ভাইরাসের নাম প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব ট্যাক্সনমি অব ভাইরাসেস এই ভাইরাসটিকে সার্স-সিওভি-২ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। কোনো বিশেষ গ্রুপ অথবা দেশকে কেন্দ্র করে যেন ভীতি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক একটি নাম দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন গবেষকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, "আমাদের এমন একটি নাম খুঁজতে হয়েছে যেটি কোনো বিশেষ ভৌগলিক অঞ্চল, কোনো প্রাণী, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দিকে ইঙ্গিত করে না, পাশাপাশি যা সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং নতুন ভাইরাসটির সাথেও যার সম্পর্ক আছে।" "একটি নির্দিষ্ট নাম থাকলে ভুল বা অপবাদসূচক কোনো নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা সম্ভব। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটলেও একটি নাম থাকলে সেটিকে নির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।" নতুন নামটি তৈরি করা হয়েছে 'করোনা', 'ভাইরাস' ও 'রোগ' শব্দগুলো থেকে। ২০১৯ দ্বারা রোগটির ছড়িয়ে পড়ার বছর বোঝানো হয়েছে। চীনে বর্তমানে ৪২ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ২০০২-২০০৩ সালে সার্স মহামারীতে হওয়া মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়েছে। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: 'অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না' করোনাভাইরাস: লক্ষণ, প্রতিরোধ ও আরো দশটি তথ্য করোনাভাইরাস নিরাপত্তায় যে সতর্কতা প্রয়োজন শুধু হুবেই প্রদেশেই সোমবার ১০৩ জন মারা গেছে, যা একদিনে হওয়া মৃত্যুর হিসেবে রেকর্ড। চীন সবমিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১ হাজার ১৬ জন। তবে নতুন করে সংক্রমণের হার আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২০% নেমে ৩ হাজার ৬২ জন থেকে হয়েছে ২ হাজার ৪৭৮ জন। রোগটি যখন প্রথম ছড়িয়ে পড়ে, তখন এটি সম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি - এমন অভিযোগে বলে চীনের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা হচ্ছে। শুরুর দিকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন এক ডাক্তার, যার সতর্কবার্তা গোপন করার চেষ্টা করেছিল চীনের কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ঐ ডাক্তারের মৃত্যু হওয়ার পর চীনে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে 'অপসারণ' করেছে বেইজিং। যাদের মধ্যরে রয়েছে হুবেই স্বাস্থ্য কমিশনের দলীয় সম্পাদক ও কমিশনের প্রধান। এখন পর্যন্ত পদ থেকে অপসারিত হওয়া সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা তারাই। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা করতে সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা জেনেভায় বৈঠক করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডাক্তার ঘেব্রেয়েসাস মন্তব্য করেছেন যে এখনো যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থা নেয়া হলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ণ্ত্রণ করা সম্ভব। চীনের নেয়া পদক্ষেপ এই রোগকে 'বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রেখেছে' বলে মন্তব্য করে তাদের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সতর্ক করেছে যে চীনের অর্থনীতিতে টানাপোড়েনের প্রভাব সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। | The World Health Organization says the official name for the disease caused by the new coronavirus is Covid-19. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | সৌদি আরবে অধিকতর নারী অধিকারের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এই রেডিও স্টেশন নসাওয়া এফএম (ফেমিনিজম এফএম) নামের এই স্টেশনটিতে যখন পারিবারিক নির্যাতন নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছিল বিষন্ন সুর। অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা কথা বলছিলেন সারা নামের এক নারীকে নিয়ে। তাঁর গলা আবেগে কাঁপছিল। এক পুরুষ আত্মীয়ের হাতে খুন হয়েছিলেন সারা। সারা ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট। চাকরি করতেন। থাকতেন বাবা-মার সঙ্গে। বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এক ভিনদেশিকে। তার পছন্দের পুরুষটি ছিল ইয়েমেনের নাগরিক। "কিন্ত সারার এই স্বপ্ন কেড়ে নিল পাঁচটি বুলেট, তার ওপর গুলি চালিয়েছিল তারই ২২ বছর বয়সী ভাই। অথচ বাবা-মার সম্মতি নিয়েই সারার সঙ্গে এই ইয়েমেনি লোকটির বাগদান হয়েছিল," বলছিলেন উপস্থাপিকা আস্তার। এটি আসলে তার ছদ্মনাম, যুদ্ধ এবং প্রেমের মেসোপটমিয়ান দেবির এই নামটিকেই তিনি বেছে নিয়েছেন ছদ্মনাম হিসেবে। আস্তার টেলিফোনে তার নারীবাদী ইন্টারনেট রেডিও স্টেশন নিয়ে কথা বলছিলেন বিবিসির আরবী বিভাগে সঙ্গে। 'সারাকে হত্যার এই ঘটনার খবর গণমাধ্যমে বেরিয়েছে। যারা তাকে চিনতেন, তারা এ নিয়ে কথাও বলেছেন," জানালের আস্তার। হানান শাহারি নামে আরেক সৌদি নারীর কাহিনীও জানালেন তিনি। ২০১৩ সালে হানান আত্মহত্যা করেছিলেন, কারণ প্রেমিকের সঙ্গে তার বিয়েতে বাধা দিচ্ছিলেন তার ভাই এবং চাচা, তাকে মারধোরও করেছিলেন। আস্তার বলছেন, সৌদি আরবে এরকম ঘটনা অনেক ঘটে, কিন্ত খুব কম ঘটনার কথাই জানা যায়। নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ তিন সপ্তাহ আগে নসাওয়া এফএম একটি টুইটার একাউন্ট খুলে ঘোষণা করে যে তারা একটি সাপ্তাহিক রেডিও অনুষ্ঠান প্রচার করবে। এটি হবে সৌদি আরবের নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠদের কন্ঠস্বর। এই রেডিও স্টেশনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আগ্রহীদের যোগাযোগ করারও আহ্বান জানায় তারা। নারী অধিকারের পক্ষে নসাওয়া এফএমের একটি টুইট গত দু সপ্তাহে রেডিও স্টেশনটি থেকে দুটি এক ঘন্টার অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। একটি মাইক্রোফোন, একটি ল্যাপটপ, এডিটিং সফ্টওয়্যার এবং স্ট্রীমিং ওয়েবসাইট মিক্সএলআর হচ্ছে তাদের সম্বল। রেডিও স্টেশনটির শব্দের মান মোটেই ভালো নয়, অনুষ্ঠানের মানও সেরকম কিছু নয়। পুরো ব্যাপারটাতে অপেশাদারিত্বের ছাপ স্পষ্ট। তবে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা আস্তার বলছেন, তারা শুরুতেই বিরাট সংখ্যাক শ্রোতা আকর্ষণ করতে পারবেন সেটা আশা করেন না। তবে নারী অধিকার নিয়ে তারা সচেতনতা সৃষ্টির যে চেষ্টা করছেন, তাতে ধীরে ধীরে শ্রোতার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করেন। সৌদি কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়তে পারেন এমন আশংকায় আস্তার তার অবস্থান সম্পর্কে জানাতে রাজী হলেন না। যদিও তিনি সৌদি আরবের বাইরে থাকেন। তাদের রেডিও স্টেশনের এই শুরুর দিনগুলোর সবকিছু তারা আর্কাইভ করে রাখছেন। যাতে ভবিষ্যতে মানুষ জানতে পারে, তাদের বাস্তব অস্তিত্ব আছে, তারা কোন অলীক মানুষ নন। "সৌদি কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় টুইটার নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। তখন আমাদের সবকিছু কিন্তু হারিয়ে যাবে। সেজন্যেই আমরা রেডিও প্রোগ্রামকেই বেছে নিয়েছি। এখানে আমরা আমাদের সব চিন্তাভাবনা রেকর্ড করতে পারি, অন্য কোন প্লাটফর্ম থেকে আমরা এই অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারি।" জাতিসংঘের হিসেবে, গত মে মাসের মাঝামাঝি হতে অন্তত ১৭ জন মানবাধিকার কর্মী এবং নারী অধিকার কর্মীকে সৌদি সরকার আটক করেছে।এদের অনেকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বিদেশি এজেন্টদের সঙ্গে 'সন্দেহজনক' যোগাযোগের অভিযোগও এর মধ্যে আছে। দোষী সাব্যস্ত হলে এই অভিযোগে তাদের বিশ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। নসাওয়া রেডিও স্টেশনে এই মূহুর্তে দুজন উপস্থাপিকা এবং নয় জন কর্মী আছে। দুজন বাদে এদের আর সবাই সৌদি নাগরিক। এদের কেউ কেউ সৌদি আরবেই থাকেন। যেহেতু তারা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন টাইম জোনে থাকেন, তাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা অনেক সময় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়াও অনেকের পড়াশোনা, চাকুরিও সামাল দিতে হয়। আস্তার নিজেকে একজন 'অ্যাকটিভিস্ট' বলেই বর্ণনা করলেন। মিডিয়াকে ব্যবহার করে তিনি তার চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দিতে চান। পুরুষদের 'অভিভাবকগিরি ব্যবস্থার' অবসান চান নারীবাদীরা সমাজ, ধর্ম এবং রাজনীতি সম্পর্কে আস্তার যে চিন্তাভাবনা করেন, তা প্রচলিত চিন্তার সঙ্গে বেশ সংঘাতপূর্ণ। তার এসব ভাবনা তিনি লিখে পাঠিয়েছিলেন কয়েকটি লেবাননী পত্রিকায় প্রকাশের জন্য। কিন্তু কেউ তা ছাপতে রাজী হয়নি। প্রাক ইসলামিক আরবের যে মাতৃতান্ত্রিক যুগে বিভিন্ন উপজাতির নেতৃত্বে ছিল নারী, সেই যুগের প্রতি তার অনুরাগের কথা জানালেন আস্তার। "আমার বিশ্বাস মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যদি আবার নারী ক্ষমতায় ফিরে আসে, বিশেষ করে বিচার বিভাগের মতো ক্ষমতাধর জায়গায়, এই বিশ্ব অনেক বদলে যাবে।" ঈদ উল ফিতর বা অন্য কোন উৎসবে যখন পরিবারের সবাই মিলিত হন, তখন আস্তার তার এসব ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা তার এসব ভাবনাকে মোটেই পাত্তা দেন না। "তারা বলেন পশ্চিমা দুনিয়া তোমার মগজ ধোলাই করেছে।" সৌদি আরবে মেয়েদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন বাদশাহ সালমান। এখন আস্তার এবং তার বন্ধুরা আন্দোলন করছেন মেয়েদের ওপর পুরুষদের 'অভিভাবকগিরি ব্যবস্থা'র অবসান ঘটাতে। সৌদি 'পুরুষ অভিভাবকগিরি' ব্যবস্থায় নারীর পক্ষে সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের পুরুষ সদস্যরাই। আস্তার এবং তার বন্ধুরা মনে করেন এটি একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। তারা এর অবসান চান। | Operating out of a small room in an unknown country, a new internet radio station broadcasts a programme aimed at campaigning for greater women's rights in Saudi Arabia. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | প্রথমে তোলা হয়েছিল ১৩টি, পরে আরো ১৪টি কফিন উত্তোলন করা হয়। রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারা এলাকার একটি পবিত্র স্থানে সদ্য সন্ধান পাওয়া কূপের ভেতরে পাথরের তৈরি এসব শবাধারের খোঁজ পাওয়া যায়। কর্মকর্তারা বলছেন, এ মাসের শুরুর দিকে তোলা হয় ১৩টি কফিন। তার পরে আরো ১৪টি শবাধার মাটির নিচ থেকে ওঠানো হয়েছে। গোরস্থান থেকে তোলা একটি কফিন। প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, মিশরে এতো ব্যাপক সংখ্যায় শবাধার এর আগে খুব কমই তোলা হয়েছে। কফিনগুলোর যেসব ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এগুলো কাঠের তৈরি। এসবের গায়ে নানা রঙ দিয়ে নকশা আঁকা। এগুলোর সাথে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি মামিও রয়েছে। সাক্কারার এই সমাধিক্ষেত্রে তিন হাজার বছর ধরে মৃতদেহ কবর দেওয়া হতো। এটি জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। আরো পড়তে পারেন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কবর দেওয়ার পর এগুলো কখনো খোলা হয়নি। "প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে এসব কফিন পুরোপুরি বন্ধ এবং কবর দেওয়ার পর এগুলো কখনো খোলা হয়নি," মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে শনিবার একথা বলা হয়েছে। 'আরো গোপন কিছু' বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে পুরাতত্ত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালেদ আল-আনানি এই কফিন খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দিতে বিলম্ব করেছেন। তিনি নিজে ওই গোরস্থানটি পরিদর্শন করে দেখার পর সদ্য আবিষ্কৃত এসব শবাধারের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। ৩৬ ফুট গভীর কূপের ভেতরে নেমে এসব কফিন উত্তোলন করা হয়। প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৩৬ ফুট গভীর কূপের ভেতরে নেমে এসব কফিন উপরে নিয়ে আসেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই কাজটি তাদের জন্য খুব একটা সহজ ছিলো না। সাক্কারা গোরস্থানে খননকাজ এখনও চলছে। বিশেষজ্ঞরা এসব কফিনের বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। এসব কফিনে কবে কাদের কবর দেওয়া হয়েছে, কেন এগুলো কখনও খোলা হয়নি- এসব প্রশ্নকে ঘিরে যেসব রহস্য তৈরি হয়েছে কর্মকর্তারা এখন সেসব ভেদ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কিছু কিছু কফিনে রঙ দিয়ে নকশা করা। মন্ত্রণালয় বলছে, তারা আশা করছে যে ভবিষ্যতে এসব কফিনের রহস্য ভেদ করার পর সেগুলো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরা সম্ভব হবে। এসব কফিনের পাশাপাশি কূপের ভেতর থেকে আরো যেসব পুরাতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোও খুব সুন্দর নকশা করে তৈরি, গায়ে রঙ করাও। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রত্নতত্ত্ববিদরা সাক্কারার স্টেপ পিরামিডের কাছ থেকে মামি করা বেশ কিছু প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। কফিনের পাশাপাশি আরো কিছু পুরাতাত্ত্বিক সামগ্রীও পাওয়া গেছে। এসব প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বিড়াল, কুমির, গোখরা সাপ এবং পাখি। রাজধানী কায়রো থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই সাক্কারা। প্রাচীন মিশরের রাজধানী মেমফিসের লোকজন এই এলাকাটিকে তাদের গোরস্থান হিসেবে ব্যবহার করতো। পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে মিশরে সম্প্রতি এধরনের পুরাকীর্তি খুঁজে বের করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। Watch footage of the mummified big cats on display at the exhibition | A total of 27 sarcophagi buried more than 2,500 years ago have been unearthed by archaeologists in an ancient Egyptian necropolis. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ১৯৭৬ সালে প্রিন্স আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রীর সাথে লর্ডনের বারাকুডা রেস্তোরায় ইমোন ও'কফি। ধনী মানুষটি প্রিন্স আবদুল্লাহ বিন নাসের। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ'র নাতি এবং রিয়াদের সাবেক গভর্নরের ছেলে। কল্পনারও অতীত ধন-সম্পদের মালিক। আর গরীব মানুষটির নাম ইমোন ও'কিফি। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের একজন ফুটবলার। ছাপাখানার শ্রমিকের ছেলে। ওল্ডহ্যাম শহরে ছোট একটি বাড়িতে থাকেন। এই দুজন সেদিন কানের একটি ক্যাসিনো থেকে ফিরছেন। প্রিন্স আবদুল্লাহ জুয়ায় হেরেছেন সে রাতে। সব সময়ই হারেন তিনি। অবশ্য তাতে তার কিছু যায় আসে না। এক রাতে কয়েক হাজার ডলার নষ্ট হওয়া নিয়ে কোন সৌদি রাজপুত্রেরই কিছু যায় আসে না। ইমোন জুয়া খেলেন না। কিন্তু তিনি জিতেছিলেন সে রাতে। তার দুবছর বছর আগেও তিনি ইংলিশ তৃতীয় ডিভিশন ফুটবল লীগের ক্লাব প্লিমাথ আরগেইলের রিজার্ভ খেলোয়াড় ছিলেন। বাড়ির বিদ্যুতের বিলের পয়সা জোগাড় করতেই হিমশিম খেতেন। কিন্তু এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এক ধনী পরিবারের সঙ্গী হয়ে বিমানের প্রথম শ্রেণীতে চড়ে ইউরোপ ঘুরছেন। পাঁচ তারকা হোটেলে থাকছেন। ঐ রাতে কানের গ্র্যান্ড হোটেলের লিফটে প্রিন্স আবদুল্লাহ ইমোনের চোখে চোখ রাখলেন। "আমি তোমাকে একটা কথা জানাতে চাই, " আব্দুল্লাহ বললেন। ইমনের কাঁধে হাত রাখলেন, "আমার মনে হয় আমি তোমাকে ভালোবাসি।" তিনি এতটাই কাছে ছিলেন যে রাজপুত্রের শ্বাস-প্রশ্বাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন ইমোন- সিগারেট এবং হুইস্কির গন্ধ। ইমোন বললেন, "আপনি কি আমাকে আপনার ভাই হিসাবে ভালোবাসেন?" "না", আবদুল্লাহ বললেন, "ঠিক ভাইয়ের মতো নয়।" তারপর কানের ঐ হোটেলের লিফট থেকে শুরু হলো ইমোনের বিপত্তির ইতিহাস। আরো পড়ুন: কিভাবে 'তেল অস্ত্র' প্রয়োগ করেছিল আরব দেশগুলো যেভাবে জঙ্গিদের হাতে অবরুদ্ধ ছিল কাবা শরিফ না ঘুমিয়ে যেভাবে বিশ্বরেকর্ড করেন মার্কিন স্কুল বালক ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর আসল কারণ কী ছিল? ম্যানচেস্টার বয়েজ ক্লাবে খেলতেন কিশোর ইমোন (সামনে প্রথম বাঁয়ে)। ইমোন, যার বয়স এখন ৬৫, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রিটেনে বড় হয়েছেন। ম্যানচেস্টারের উত্তরে ব্ল্যাকলে এলাকায় ছোট একটি সরকারি বাড়িতে থাকতেন। তিন ভাই এবং দুই বোনের সাথে তাদের নানীও থাকতেন ঐ বাড়িতে। ছোট এক বাড়িতে এত লোক রাতে শুতো কোথায়? ম্যানচেস্টারের একটি হোটেলে বসে হাসিমুখে ইমোন বললেন, "সে কথা ভেবে আমি এখনও অবাক হই।" জাতিতে আইরিশ তার বাবা স্থানীয় সেন্ট ক্লেয়ার ক্যাথলিক ফুটবল টিম নামে একটি ফুটবল দল চালাতেন। ক্লাবের জার্সিগুলো ধুয়ে ইস্ত্রি করতেন তার মা। খেলা শেষে বলগুলো কুড়িয়ে বাড়িতে এনে ধোয়ার দায়িত্ব ছিল ইমোনের । বাড়ির পাশে পার্কে ফুটবল খেলতেন ইমোন। একসময় নজর কেড়েছিলেন তিনি। এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের ইয়ুথ টিমে ডাক পেয়েছিলেন। এক ম্যাচে তার পা ভেঙ্গে যায়। ফলে ওল্ড ট্রাফোর্ডের মাঠে ফ্লাড লাইটের নীচে ফুটবল খেলার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় তার। পা ভালো হলে স্টেলিব্রিজ সেলটিক নামে একটি আধা-পেশাদার ক্লাবে নাম লেখান। তখন ঐ ক্লাবের কোচ ছিলেন জর্জ স্মিথ, যিনি পরে আন্তর্জাতিক স্তরে কোচিং করিয়েছেন। স্টেলিব্রিজ ছেড়ে জর্জ সৌদি আরবের সবচেয়ে ধনী এবং বড় ক্লাব আল হিলালের ম্যানেজারে চাকরি নিলেন। জর্জ চলে যাওয়ার পর স্টেলিব্রিজ ছেড়ে ৩০০ মাইল দূরে প্লিমাথে চলে যান ইমোন। কিন্তু প্লিমাথে যে পয়সা তিনি পেতেন, তা দিয়ে বাড়ি ভাড়ার পয়সাও হতো না। এক বছর না যেতেই বাড়ি ফিরে গেলেন। একদিন আরবি ডাকটিকেট লাগানো একটি চিঠি পেলেন তিনি। চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন সৌদি আরব থেকে জর্জ স্মিথ। এক মাসের ট্রায়ালের জন্য তিনি ইমোনকে সৌদি আরবে আসতে লিখেছেন। ট্রায়ালে ভালো করলে এবং সৌদি আরবের গরম সহ্য করতে পারলে ক্লাবের প্রথম ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসাবে তিনি আল হিলালে যোগ দিতে পারবেন। "নভেম্বর মাস ছিল তখন। ম্যানেচেস্টারে তখন বরফ পড়ছিলে," স্মৃতিচারণ করছিলেন ইমোন, "আমি ভাবলাম প্রস্তাবটি খারাপ নয়।" কিন্তু শুধু যে আবহাওয়ার কারণেই তিনি প্রস্তাবটি লুফে নিয়েছিলেন তা নয়, পয়সা ছিল প্রধান বিবেচনা। ইমোন তখনই বিবাহিত, দুটি সন্তান। ভেবেছিলেন সৌদি আরবে গেলে হয়তো বাড়ির মর্টগেজটা দ্রুত শোধ করতে পারবেন। লন্ডনে গিয়ে কায়রো, জেদ্দা হয়ে রিয়াদের প্লেন ধরলেন ইমোন। জেদ্দায় নেমেই বুঝলেন তিনি ভিন্ন ধরণের একটি দেশে এসেছেন। তার হাতে ছিল ইংলিশ ট্যাবলয়েড সানডে এক্সপ্রেস। একজন সৌদি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার পত্রিকাটি নিয়ে কাঁচি দিয়ে প্রতি পাতায় মেয়েদের ছবির মুখগুলো কেটে ফেললেন। এরপর থেকে ইমোন পদে পদে টের পেয়েছেন যে তিনি ভিন্ন একটি সংস্কৃতির দেশে এসেছেন। বর্তমানে ম্যানচেস্টারে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন ইমোন ও'কফি। রিয়াদে তাকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে রানওয়েতে অপেক্ষা করছিলেন জর্জ। বিশাল এক বুইক গাড়ির বনেটে বসে ছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টারে ফিস অ্যান্ড চিপস খাওয়াটাই যেখানে বড় ব্যাপার ছিল, সেখানে রিয়াদে এসে ইমোন উঠলেন পাঁচ তারকা হোটেলে। খাবার-পানীয় সব ফ্রি। ২২ বছরের ইমোন যেন রাতারাতি ভিন্ন এক জগতে এসে পড়লেন। ১৯৭৩ সালে বিশ্বের জ্বালানি তেলের সঙ্কটের কারণে সৌদি অর্থনীতি তখন ফুলে ফেঁপে উঠছিলো। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে সৌদি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩,০০০ শতাংশ। ফলে ক্ষমতাবান মানুষদের পকেটে এসেছিলো অবিশ্বাস্য পরিমাণ টাকা। তেমনই এক ধনী ক্ষমতাবানের সাথে দেখা হলো ইমোনের। রিয়াদের আল হিলালের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে তার সাথে দেখা হলো প্রিন্স আবদুল্লাহ বিন নাসেরের। ইমোন তখনও ট্রায়ালে রয়েছেন। একটি প্রাকটিস ম্যাচ চলাকালে নীল রঙের এক বুইক গাড়িতে চড়ে মাঠে এলেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট প্রিন্স আবদুল্লাহ। "জর্জ আমাকে বললেন ঐ যে গাড়ি, ঐ গাড়িতে আমাদের প্রেসিডেন্ট। তোমাকে ক্লাবে রাখা হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত উনিই দেবেন। ভালো করে খেল।" সে সময় রাইট উইং থেকে বলের পাস এলো। গোলের সামনেই ছিলেন ইমোন। হেড করে বল জালে ঢুকিয়ে দিলেন। "গুলির মতো বলটি কোণা দিয়ে জালে ঢুকেছিল। সত্যিই গুলির মত।" পাঁচ মিনিট পর লেফট উইং থেকে আসা আরেকটি পাস থেকে আবারো গোল করলেন ইমোন। ম্যাচের বিরতিতে কানের কাছে ফিসফিস করে জর্জ বললেন, "টাকা নিয়ে তোমার মনে যা রয়েছে, তার শেষে একটি বাড়তি শূন্য বসিয়ে নিও।" ম্যাচের পরপরই প্রিন্সের সাথে দেখা করতে গেলেন ইমোন। তখনও গায়ে ঘামে ভেজা জার্সি, শর্টস। আবদুল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করলেন হোটেল ঠিক আছে কিনা। তিনি খুশি কিনা। ইমন উত্তর দিলেন সব ঠিক আছে। প্রিন্স তখন জর্জকে জিজ্ঞেস করলেন, ইমানের পারফরমেন্সে তিনি খুশি কিনা। জর্জ বললেন - হ্যাঁ। "তাহলে হোটেলে গিয়ে আপনার চাহিদা কি তা ঠিক করে ফেলেন," বললেন আবদুল্লাহ। ৭০ দশকে সৌদি ক্লাব আল হিলালিতে ইমোন ও'কফি (ডান থেকে দ্বিতীয়)। জর্জের সাথে বসে ইমোন একটি তালিকা বানালেন : টাকা, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ইংল্যান্ডে যাওয়ার ফ্লাইটের ভাড়া, বড় হওয়ার পর দুই ছেলের প্রাইভেট স্কুলের খরচ। পরের ট্রেনিংয়ের দিনে প্রিন্স এলে তালিকাটি তার হাতে তুলে দেন জর্জ। প্রিন্স দেখে বললেন, "কোনো সমস্যা নেই।" দেশে ইমোনের তখন আয় ছিল সপ্তাহে ৪০ পাউন্ড, সেই সাথে ফুটবল খেলে পেতেন ১৫ পাউন্ড। আল হিলালে তার সাপ্তাহিক আয় দাঁড়ালো ১৪০ পাউন্ড, যা এখনকার ১,১০০ পাউন্ডের সমান। কোনো কর নেই, বিল নেই, বাসা-ভাড়া নেই। চুক্তি চূড়ান্ত করে ইমোন ফিরে গেলেন ম্যানচেস্টারে। পরিবার নিয়ে ফিরলেন রিয়াদে। প্রথমে উঠলেন একটি হোটেলে। "অনেক বিল হতো, কিন্তু তা নিয়ে কখনই কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।" ইমোনের স্ত্রী রিয়াদে ফার্স্ট ন্যাশনাল সিটি ব্যাংকে চাকরি নিলেন। সপ্তাহে দুদিন প্রশিক্ষণের বাইরে ইমোনের সময় কাটতো বাচ্চাদের নিয়ে আয়েশে। তাদের নিয়ে প্রতিদিনই সুইমিং পুলে কাটাতেন। প্রথম দিন থেকেই আবদুল্লাহ ইমানকে পছন্দ করেছেন। তাকে একটি গাড়ি কিনে দিলেন প্রিন্স। একটি সিলভার রংয়ের পনটিয়াক ভেনচুরা। প্রায়ই ইমোনকে চায়ের দাওয়াত দিতেন। একসাথে বড় স্ক্রিনের টিভিতে ফুটবল দেখতেন। নিজের পরিবার নিয়ে কথা বলতেন প্রিন্স। অসম বন্ধুত্ব। কিন্তু সৌদি রাজ পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতাকে ইমোন উপভোগ করতেন। তিনি দেখলেন রাজপরিবারের হয়েও সৌদিরা খুবই সাদাসিধে মানসিকতার মানুষ। ফুটবল মাঠেও সময় ভালোই যাচ্ছিলো। কিংস কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ক্লাব। মৌসুম শেষে ছুটি কাটাতে ইংল্যান্ডে গেলেন ইমোন। যাওয়ার আগে আবদুল্লাহ ইমোনের বাড়ির ফোন নম্বর চাইলেন। "আমিও ইংল্যান্ডে যাবো, দেখা হবে আমাদের।" তিন সপ্তাহ পর, আবদুল্লাহ ইমোনের মায়ের বাড়িতে ফোন করেন। ফোন তুলেছিলেন তার মা। ইমোন ফোন ব্যাক করলেন। প্রিন্স ছিলেন লন্ডনে হ্যারডসের কাছে কার্লটন টাওয়ার হোটেলে। দুদিন পর তার সাথে দেখা করতে ইমোন লন্ডনে গেলেন। ট্রেন স্টেশনে তার জন্য বিলাসবহুল গাড়ি অপেক্ষা করছিলো। লন্ডনে সৌদি টাকা উড়তে দেখছিলেন ইমোন। প্রিন্স সেসিল গি'র ছয়টি স্যুট কিনলেন। তার একজন সহকারীর জুতোর প্রয়োজন হলে প্রিন্স ইমোনকে ২০০ পাউন্ড দিয়ে দোকানে পাঠালেন। "এ যেন অন্য এক জগত।" আব্দুল্লাহ ইমোনকে বললেন, তার ইউরোপ সফরে সে সঙ্গী হবে কি-না। প্রথমে প্যারিস, তারপর কান, রোম, কায়রো হয়ে রিয়াদে ফেরত। এই সফরে আবদুল্লার স্ত্রী কিছু আসবাব কিনতে চান, আর প্রিন্স চান ইউরোপের কাসিনোতে পয়সা ওড়াতে। ইমোন রাজী হলেন। এক সপ্তাহ পর লিমুজনে চড়ে গেলেন হিথরো বিমানবন্দরে, সৌদি রাজপুত্রের সাথে ইউরোপ সফরের জন্য। ততদিনে ইমোনের সাথে আবদুল্লার অনেকটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিলো। "আমাদের বোঝাপড়া ছিল দারুণ। সবসময় হাসি ঠাট্টা হতো। অনেক মানুষ যে তার পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে, তা নিয়ে প্রিন্স বিরক্ত থাকতেন। প্যারিসের চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরে প্রিন্সকে অভ্যর্থনা জানাতে এলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত। বিমানবন্দরে যখন সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলছিলেন হাতের একটি ব্যাগ রাখতে দিয়েছিলেন ইমোনকে। এক ঘণ্টা পর হোটেল রুমে ফোন করে ব্যাগটি চাইলেন তিনি। রাজপুত্রের হোটেল রুমে গেলে ব্যাগ খুলে তিনি ইমোনকে দেখালেন ব্যাগের মধ্যে স্তরে স্তরে সাজানো ফরাসী মুদ্রা - ফ্রাঁ। "অথচ বিমানবন্দরে আমি কিন্তু কফি আনতে গিয়ে এই ব্যাগটি চেয়ারে রেখে গিয়েছিলাম। বোঝেন অবস্থা।" সৌদি পেশাদার ফুটবলে প্রথম ইউরোপীয় ছিলেন ইমোন ও'কফি। সে রাতে প্যারিসের সেইন নদীতে নৌবিহার এবং সেই সাথে ডিনার সারলেন তারা। দুদিন পর রওয়ানা হলেন কানে। কানে পৌঁছে তারা দুজন একরাতে গেলেন ক্যাসিনোতে। ফেরার পথে হোটেলের লিফটে রাজপুত্র আবদুল্লার ঐ প্রস্তাব - "ইমোন আমি তোমাকে ভালোবাসি"। ইমোন বললেন, ঐ কথা শোনার পর তার মনে হয়েছিল লিফটটি খুব যেন ছোটো, অপ্রশস্ত। "লিফটের দরজা খুলতে ১৫ সেকেন্ড লেগেছিল। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল যেন এক মাস। ভয়ঙ্কর এক শীতলতা এসে ভর করলো।" ইমোন তার মনোভাব বুঝিয়ে দিলেন - তিনি সমকামী নন, তিনি শুধু ফুটবল খেলতে চান। অন্য কিছু নয়। তারপর পুরো পরিবেশটাই যেন বদলে গেল।। সফর সূচিও বদলে গেল। তিনদিনের বদলে রোমে তারা থাকলেন একদিন। তারপর কায়রোতে না থেমে সোজা রিয়াদে। পরিবেশটা যেন বরফের মতো হয়ে গেল। ইমোন বিব্রত হলেও ভীত হননি। আবদুল্লাহ তাকে বলেছিলেন, তাদের সম্পর্ক এখন শুধু ক্লাব প্রেসিডেন্ট এবং একজন খেলোয়াড়ের মতো হবে।। ইমোন তার কথা বিশ্বাস করেছিলেন। "এক মুহূর্তের জন্যও আমার মনে হয়নি আমি কোনো বিপদে পড়ে গেছি। আমি ভাবছিলাম আমার সাথে চুক্তি হয়েছে, সুতরাং সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে।" কিন্তু রিয়াদে ফিরে পরিস্থিতি বদলে গেল। সমকামিতা সৌদি আরবে নিষিদ্ধ। কিন্তু রাজপরিবারের ক্ষমতা অপরিসীম। ফলে রিয়াদে ফিরে ইমোন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন - যদি প্রিন্স চাপ সৃষ্টি করে। তিনি জর্জকে সব কথা খুলে বললেন। জর্জের কাছ থেকে ভরসা চাইলেন, কিন্তু পেলেন না। "তুমি একটা গাধা। তুমি মনে করছো ওরা থেমে যাবে।" জর্জ স্মিথের বয়স এখন ৮৪। এখনও ফুটবলের দিকে নজর রাখেন। তিনি কি এখনও ইমোনকে মনে রেখেছেন। "অবশ্যই," রচডেল থেকে টেলিফোনে তিনি উত্তর দিলেন। "আমিই তো তাকে ফুটবলার বানিয়েছিলাম।" আবদুল্লাহর সাথে ইমোনের মাখামাখি নিয়ে তিনি কিছুটা অস্বস্তি- আতঙ্কে ছিলেন। "আমার মনে হতো তারা খুব বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। আমার এই মনোভাবের কথা প্রেসিডেন্টও জানতেন।" সৌদি আরবের মরুভূমিতে ইমোন ও'কফি। কানের ঘটনা শোনার পর জর্জ ইমোনকে দ্রুত সৌদি আরব ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। "আমি বুঝতে পারছিলাম সে বিপদে পড়ে গেছে। যে কোনো কিছু ঘটতে পারে।" কেমন সেটা? "ঈশ্বর জানেন। কোনো দুর্ঘটনা বা অন্য কিছু। রাজপরিবারের ইচ্ছা অমান্য করা মহা অপরাধ।" ভয়ে ঠাণ্ডা হয়ে গেলেন ইমোন। দেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্ষমতাবান একজন ব্যক্তির গোপন কথা তিনি জেনে ফেলেছিলেন। জর্জের বাড়ির সোফায় সারারাত তার নির্ঘুম কাটলো। ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু একটি সমস্যা এসে হাজির হলো। সৌদি আরব ছাড়তে হলে তার নিয়োগকর্তার লিখিত অনুমতি লাগে। হঠাৎ ইমোনের মনে হলো সে যেন সোনার খাঁচায় বন্দি হয়ে পড়েছে। পরদিন ইমোন মিথ্যা বলার সিদ্ধান্ত নিল। প্রিন্স আব্দুল্লাহকে গিয়ে সে বললো তার বাবা অসুস্থ। দ্রুত তাকে ইংল্যান্ড যেতে হবে। আব্দুল্লাহ শুনলেন, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত দিলেন না। বললেন, কাল কথা হবে। পরদিন ফুটবল ক্লাবে আবদুল্লাহর সাথে দেখা করতে গেলেন ইমোন। দরজা বন্ধ করে দিলেন প্রিন্স। কর্মচারীদের বললেন তাদের যেন বিরক্ত না করা হয়। তারপর ইমোনকে জিজ্ঞেস করলেন, "ফ্রান্সে যা হয়েছিল তার জন্যই কি তুমি দেশে যেতে চাইছো? আমি বিশ্বাস করি না তুমি আর ফিরে আসবে।" ইমোন যখন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, আব্দুল্লাহ একটি কাগজ এবং কলম নিয়ে আরবিতে কিছু লিখলেন। একটি চুক্তিপত্র। ইমোন দেশে যেতে পারবেন, কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের জন্য। শুধু তাকে এই চুক্তিতে সই করতে হবে। ইমোন আরবি পড়তে পারলেন না। ফলে তিনি সই করলেন না। তবে সাথে সাথে একটি বুদ্ধি তার মাথায় এলো। "আপনি আমাকে সই করতে বলছেন?" ইমোন জিজ্ঞেস করলেন, "আরবিতে লেখা এই চুক্তিপত্রে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করেন? ঠিক আছে তাতে সমস্যা নেই।" জিমি হিল। তার মধ্যস্ততায় সৌদি এফএ ছাড়পত্র দিয়েছিল ইমোন ও'কফিকে ইমোন পেন হাতে নিলেন এবং সই করতে উদ্যত হলেন। শেষ মুহূর্তে আব্দুল্লাহ পেন ছিনিয়ে নিলেন, কাগজটি ছিঁড়ে ফেললেন। তারপর বললেন, "আমি তোমার ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি।" ধোঁকা কাজে দিয়েছিল। পরদিন অল্প কিছু কাপড়-চোপড় নিয়ে ইমোন বিমানবন্দরে গেলেন যাতে আব্দুল্লাহ সন্দেহে না করেন যে তিনি একেবারে চলে যাচ্ছেন। তিনি কি তখনও ভয়ে ছিলেন? "অবশ্যই। কারণ হঠাৎ যদি আব্দুল্লাহ বলে বসেন তুমি যেতে পারবে না। বিমান আকাশে ওড়ার পরও আমি ভয় পাচ্ছিলাম।" লন্ডনে বিমান নামার পর হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। তবে ইংল্যান্ডে ক্যারিয়ার শুরুটা কঠিন ছিল। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে রেজিস্ট্রি করতে সৌদি আরবের ছাড়পত্রের প্রয়োজন ছিলো। কিছু ছাড়পত্রের বদলে রিয়াদ থেকে তিনি একটি ফ্যাক্স পেলেন। ক্ষতিপূরণ দাবির একটি তালিকা : - চুক্তি ভঙ্গের দায়ে ৯,০০০ সৌদি রিয়াল (বর্তমানে ৮,০০০ পাউন্ডের সম-পরিমাণ) - রিয়াদে তার অ্যাপার্টমেন্টের শীতাতপ যন্ত্র মেরামতের খরচ ১৫০০ রিয়াল - আব্দুল্লাহর কাছ থেকে ধার নেওয়া ৩০০ পাউন্ড - এক মাসের বেতন ফেরত ইমোনকে পাঠানো জিমি হিলের টেলিগ্রাম। তালিকার এক এবং চার নম্বরটি মানতে রাজী ছিলেন ইমোন। কিন্তু তিনি নিশ্চিত হলেন যে বাকি দাবিগুলো ছিল আবদুল্লাহর প্রতিশোধ। বললেন, শীতাতপ যন্ত্র একদম ঠিক ছিল, এবং তিনি কখনই আবদুল্লাহর কাছ থেকে এক পয়সাও ধার করেননি। ইমোন এফএর সাথে কথা বললেন। এরপর ২২শে নভেম্বর, ১৯৭৬ এ তিনি লন্ডন থেকে একটি টেলিগ্রাম পেলেন। "জরুরী দরকার, প্লিজ রিং।" নীচে সৌদি ফুটবলের নতুন প্রধান জিমি হিলের নাম। ১৯৭৬ সালে জিমি হিল ছিলেন ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তি। ১৯৭০ সাল থেকে তিনি বিবিসির প্রধান ফুটবল অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। ইমান তাকে ফোন করলেন। ইমানের বাবা ট্রেড ইউনিয়ন করতেন। তিনি বললেন, কানে কী হয়েছিল তা তিনি ফিফা এবং পুরো বিশ্বকে বলবেন। দুই সপ্তাহ পর, একটি বৈঠকের আয়োজন করা হলো - ইমোন, জর্জের একজন বন্ধু এবং আল হিলাল ক্লাবের একজন প্রতিনিধির মধ্যে। বৈঠকে আল হিলালের প্রতিনিধি কিছুটা ব্যাঙ্গ করে ইমোনকে বললেন, "আপনি সৌদি আরবে থাকলে আপনার কি এমন হতো?" "বিষয়টি যখন আপনার পরিবার নিয়ে, তখন তো ঝুঁকি নেওয়া যায়না," শক্ত জবাব দিলেন ইমোন। অনেক তর্ক হয়েছিল ঐ বৈঠকে। এক সপ্তাহ পর ইমোনকে ছাড়পত্র দিলো সৌদি এফএ। তবে ইংল্যান্ডে ফেরার পর আবারো অর্থকষ্ট শুরু হলো ইমোনের। বেতনের টাকা পড়ে ছিল সৌদি ব্যাংক আ্যাকাউন্টে। তা তুলতে পারেননি। বাড়ি বেচতে হলো তাকে। ম্যানচেস্টার ইভনিং পত্রিকায় কাজ নিলেন। পরে সেমি-প্রফেশনাল ক্লাব মসলিতে খেলা শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে ইমোন ২৫,০০০ পাউন্ডে এভার্টন ক্লাবে যোগ দেন। ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ লীগে খেলার সুযোগ হয় তার। এভার্টনের হয়ে প্রথম ডিভিশনে তিনি ২৫টি ম্যাচ খেলেন। পরে উইগ্যান অ্যাথলেটিক্সে যোগ দেন। এরপর আইরিশ রিপাবলিক জাতীয় দলের হয়েও পাঁচটি ম্যাচ খেলেন ইমোন। ইমোন ও'কফি এখনো এভার্টন ক্লাবে খণ্ডকালীন কাজ করেন। সৌদি আরব থেকে চলে আসার পর ফুটবলার হিসাবে তার এই সাফল্যের জন্য আবদুল্লাহকে মনে মনে ক্ষমা করে দিয়েছেন ইমোন। "কানের লিফটের মধ্যে ঐ ঘটনা যদি না ঘটতো, তাহলে হয়তো আমি সৌদি আরবেই থেকে যেতাম। কখনই আমার এভার্টনের জন্য খেলা হতো না। আয়ারল্যান্ডের জন্য খেলা হতো না।" প্রিন্স আব্দুল্লাহ ১৯৮১ পর্যন্ত আল হিলালের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ইমোন চলে আসার পর তিনি আরো অনেক বিদেশী ফুটবলার কিনে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের রিভেলিনো খেলেছেন আল হিলালে। ঐ ক্লাব এখন এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্লাব। ইমোনের এই গল্প নিয়ে সৌদি সরকারের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন বা আল হিলাল ফুটবল ক্লাব কেউই কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। প্রিন্স আব্দুল্লাহ সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। কারণ তার মত এমন শত শত রাজপুত্র সৌদি আরবে রয়েছেন। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা ইবনে সউদের ৪৫ জন ছেলে ছিল। তাদের একজনের সন্তান ছিলেন আব্দুল্লাহ। আল হিলাল ক্লাবের ওয়েবসাইট থেকে অবশ্য জানা যায় আব্দুল্লাহ বেঁচে নেই। মধ্যপ্রাচ্যের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে তিনি মারা যান। আরবি উইকিপিডিয়ায় তার সম্পর্কে ৪০০ শব্দের একটি বর্ণনা রয়েছে - আবদুল্লাহর তিনজন স্ত্রী এবং সাতটি সন্তান ছিল। ইমোন ও'কিফি আয়ারল্যান্ডের কর্ক সিটি ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব শেষ করে ইংল্যান্ডের চেশায়ার কাউন্সিলে কাজ করেছেন। পরে পর্তুগালে কাটিয়েছেন কিছুদিন। এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন ম্যানচেস্টারে। ২০১৭ সালে তার ক্যানসারের চিকিৎসা হয়। সেরে উঠছেন এখন। সৌদি রাজপুত্রকে নিজে ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে তিনি ৪০ বছর ধরে খুব একটা মুখ খোলেননি। কিন্তু এখন তিনি চান সৌদি ঐ ক্লাবের সেই সময়কার সহকর্মীরা জানুক কেন তিনি হঠাৎ না বলে কয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। | The Grand Hotel, Cannes, 1976. On a hot summer night, a rich man and a poor man stand in a lift. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ডেনেরেস টার্গারায়েন চরিত্রে এমিলিয়া ক্লার্ক অভিনেতা ড্যাক্স শেফার্ডের পডকাস্টে তিনি বলেন যে কিছু বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করার আগে তিনি বাথরুমে গিয়ে কাঁদতেন - তবে নগ্নতা নেই এমন অনেক দৃশ্যের ক্ষেত্রেও এরকম পরিস্থিতির সামনে তাকে পড়তে হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সিরিয়ালে ডেনেরিস টার্গারায়েন হিসেবে যেই চরিত্রতে তিনি অভিনয় করেন, সেখানে চরিত্রের খাতিরে প্রায়ই তাকে নগ্ন হতে হতো। তিনি মনে করেন কাহিনীর খাতিরে সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল - কিন্তু সিরিয়ালটি যদি বর্তমান সময়ে বানানো হতো তাহলে এটি 'ভিন্ন ধরণের' হতো। লন্ডনের বাসিন্দা এমিলিয়া ক্লার্ক যখন চরিত্রটিতে অভিনয়ের সুযোগ পান, তখন তার বয়স ২৩ বছর। সেটি ছিল অভিনয় জগতে তার প্রথম বড় কোনো কাজের সুযোগ। এমিলিয়া বলেন নগ্নতা সম্পর্কে তার ধারণা এখন ভিন্নরকম "আমি চরিত্রটিতে অভিনয় করবো বলে নিশ্চিত করার পর তারা আমাকে চিত্রনাট্য পাঠায়। সেটি পড়তে পড়তে আমার মনে হয় 'ওহ, তাহলে এই ব্যাপার!'" "কিন্তু আমি তখন মাত্র অভিনয় সম্পর্কে পড়াশোনা শেষ করেছি, তাই প্রস্তাবটিকে আমি চাকরি হিসেবেই গ্রহণ করি।" "যদি এতগুলো খোলামেলা দৃশ্য চিত্রনাট্যতে থাকে, তাহলেই নিশ্চয়ই কাহিনীর কারণেই এর প্রয়োজন রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে আমার সেরকম দৃশ্যে অভিনয় করতে আপত্তি নেই।" সিরিজটির চিত্রায়ন করা শুরু হওয়ার পর প্রথম কিছুদিন হীনমন্যতায় ভুগেছেন বলে জানান এমিলিয়া ক্লার্ক। 'লাস্ট ক্রিসমাস' এর কলাকুশলীদের সাথে এমিলিয়া "নগ্ন বা খোলামেলা দৃশ্য থাক বা নাই থাক, প্রথম মৌসুমের প্রায় পুরো সময়টাতেই আমার মনে হয়েছে যে আমি এই কাজের জন্য যোগ্য নই। আমার কাছ থেকে কিছুই আশা করা যায় না।" "আমি বাথরুমে গিয়ে কাঁদতাম এবং ফিরে এসে ঐ দৃশ্যে অভিনয় করতাম। শেষপর্যন্ত ঠিকঠাকই হতো দৃশ্যায়ন।" তিনি জানান প্রথম মৌসুমে তার নির্যাতনকারী স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করা জেসন মোমোয়া পুরো প্রথম মৌসুমে তাকে সহায়তা করেছেন। ২০১৩ সালে গেইম অব থ্রোনস এর প্রিমিয়ারে এমিলিয়া ও জেসন মোমোয়া ২০০৯ ও ২০১০ এর দিকে এমিলিয়ার মনে হতো যে এই সিরিজে তিনি 'শুধু নগ্ন দৃশ্যেই অভিনয় করছেন।' কিন্তু তারপরেও চরিত্রটির দৃশ্যায়নে কোনো পরিবর্তন আনার অনুরোধ করেননি তিনি। "অনুষ্ঠানে খালিসি'র নগ্নতা নিয়ে অনেক মানুষ অনেকরকম কথা শুনিয়েছেন আমাকে। কিন্তু তাকে নির্যাতিত হতে না দেখলে মানুষ তাকে গুরুত্বই দেবে না। কাজেই আপনাকে তা দেখতেই হবে।" এমিলিয়া এখন রোমান্টিক কমেডি 'লাস্ট ক্রিসমাস' এ অভিনয় করছেন। তিনি জানান, এখন কোনো দৃশ্যে নগ্নতা থাকা প্রয়োজন কিনা, সেবিষয়ে তিনি রীতিমত তর্ক করেন। | Game of Thrones star Emilia Clarke says she found the nude scenes "hard". |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | শ্রীলংকায় ইস্টার সানডেতে বোমা হামলায় ৩০০'র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে 'ভুয়া খবর' ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে ফেসবুক, ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ আর ইনস্টাগ্রাম, এবং ইউটিউব, ভাইবার ও স্ন্যাপচ্যাট বন্ধ করে দেয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমের ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কবে বা কখন উঠিয়ে নেয়া হবে সেবিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি শ্রীলংকার সরকার। কেন বন্ধ করা হলো সামাজিক মাধ্যম? শ্রীলংকায় রবিবারের সিরিজ হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ জনে। রোববার শ্রীলংকার একাধিক গির্জায় এবং হোটেলে সিরিজ বোমা হামলা হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে জনগণকে আহ্বান জানিয়েছিলেন 'ভিত্তিহীন খবর এবং জল্পনা প্রচার থেকে বিরত' থাকতে। এর পরপরই সামাজিক মাধ্যমের সাইটগুলো ব্লক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শ্রীলংকায় হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার ব্যাপক দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক, তবে 'তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত' এটি কার্যকর থাকবে। সামাজিক মাধ্যমে টুইটার এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলংকার মানুষের মধ্যে টুইটার তেমন জনপ্রিয় নয়। গতবছর মুসলিম বিরোধী সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে কিছুদিনের জন্য ফেসবুক বন্ধ ছিল শ্রীলংকায়। শ্রীলংকায় সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত খুব একটা বিস্ময়কর নয়। আরো পড়ুন: 'এটা কি হলো?': শোকস্তব্ধ ঢাকার শ্রীলংকানরা শ্রীলঙ্কা হামলা: কী কারণে এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড শোকের দিনে গণ শেষকৃত্য, প্রাণ হারালো যারা গত বছর নভেম্বরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়ানোর লক্ষ্যে ফেসবুক ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপর এবছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে বন্দুকধারীর হামলার ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং করার পর সেই ভিডিও সরিয়ে নেয়ার জন্যও যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মত জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলোকে। নিউজিল্যান্ডের ঘটনার সময় সামাজিক মাধ্যম বন্ধ না করা হলেও হামলার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সামাজিক মাধ্যমগুলোকেই দায়ী করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করা কি ভাল উদ্যোগ? অনেকের মতে, এরকম নিষেধাজ্ঞার বিকল্প কোনো পথ ছিল না। কারণ ভুল খবর ছড়িয়ে পড়া রোধের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেষ্ট সক্ষমতা নেই। কিন্তু অনেকেই সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করার এই সিদ্ধান্তকে অনলাইনে তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতার পথে বাধা হিসেবে মনে করছেন - বিশেষ করে শ্রীলংকার মত দেশে, যেখানে এর আগেও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার নজির রয়েছে। সামাজিক মাধ্যম যে ভুল তথ্য বা ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে তা প্রশ্নাতীত গবেষক ইয়ুধাঞ্জায়া বিজরত্নে বাজফিড'কে বলেন যে এটি একটি জটিল সমস্যা। "তথ্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার বিরুদ্ধে এবং তথ্যের গণতন্ত্রায়নের পথে সামাজিক মাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এর অর্থ এই না যে এটি (সামাজিক মাধ্যম) শুধুই কল্যাণ বয়ে আনে। সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণা অনেক দ্রুত ছড়ায়, আর ফেসবুক ঘৃণা ছড়ানো কন্টেন্ট বন্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।" নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক দিকগুলো কী? সামাজিক মাধ্যম যে ভুল তথ্য বা ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে তা প্রশ্নাতীত, কিন্তু দুর্ঘটনার সময় পরিবার এবং প্রিয়জনদের খোঁজ নেয়ার ক্ষেত্রেও সামাজিক মাধ্যমের গুরুত্বের বিষয়টি বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতায় অনস্বীকার্য। ফেসবুক তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে: "প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগের জন্য আমাদের সেবার ওপর নির্ভরশীল মানুষ এবং এই বিপর্যয়ের সময় দেশটির সব সম্প্রদায়ের মানুষের সহায়তার উদ্দেশ্যে আমাদের সেবা অব্যাহত থাকবে।" শ্রীলংকায় হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার ব্যাপক, আর অনেক মানুষের কাছে ইন্টারনেট মানেই ফেসবুক। কাজেই এরকম বিপর্যয়ের সময় এই সুবিধাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে যোগাযোগের মূল মাধ্যমই বন্ধ হয়ে যাওয়া - এমন এক সময় যখন এটি তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। নিষেধাজ্ঞা কি কাজ করছে? নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও অনেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছেন। ভিপিএন'এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারীর ঠিকানা গোপন করে অন্য দেশের সার্ভারের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করা যায়। ভুয়া খবর নিয়ে গবেষণা করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান 'ফার্স্ট ড্রাফ্ট' এর প্রতিষ্ঠাতা ক্লেয়ার ওয়ার্ডল বিবিসিকে বলেন: "এরকম একটি ঘটনার পর এই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কারণ সহজে অনুধাবন করা যায়।" "কিন্তু যখন মানসম্পন্ন তথ্যের অন্য কোনো নির্ভরশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থাকে না, তখন এমন সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই সামাজিক মাধ্যমের আর কোনো বিকল্প থাকে না।" অন্যান্য খবর: বারাক ওবামাকে হত্যার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল যারা দুর্ঘটনায় সংজ্ঞাহীন নারী জেগে উঠলেন ২৭ বছর পর 'জুরাইনে গিয়ে শরবত খেয়ে আসবো আমরা' | Shortly after the bombings in Sri Lanka, and the spread of inaccurate stories began, the government took the drastic decision to block social media. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | হারানো মোবাইলে বানরের সেলফি ও ভিডিও তার মোবাইল ফোনটি হারানোর একদিন পর সেটি বাসার পেছনের জ্ঙ্গল থেকে তিনি খুঁজে পান এবং তার ফোনে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখেন একটি বানর - দেখে মনে হচ্ছে -তার ফোনটি খাবার চেষ্টা করছে। ফোনের মালিক জাকরিজ রদজি এই ছবি টু্ইটারে পোস্ট করলে সামাজিক মাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্র মি. জাকরিজ ভেবেছিলেন তিনি যখন ঘুমিয়েছিলেন তখন তার ফোন কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। কিন্তু কীভাবে তার ফোন চুরি হয়েছিল তা তিনি সঠিকভাবে জানেন না। তার ফোনে বানরের ছবি এবং ভিডিও ঠিক কীভাবে তোলা হয়েছিল তা যাচাই করে দেখাও সম্ভব হয়নি। বিশ বছর বয়সী মি. জাকরিজ বিবিসিকে বলেছেন শনিবার সকালে ১১টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন তার স্মার্টফোনটা নেই। মি. জাকরিজের ফোনের ভিডিও থেকে নেয়া স্ত্রিন শট "কোন চোর-ডাকাত ঢোকার কোন চিহ্ণ ছিল না। আমার খালি মনে হয়েছিল কেউ যাদুটাদু করল কিনা,'' মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় জোহর রাজ্যের বাতু পাহাত-এ কম্প্যুটার সায়েন্সের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র মি. জাকরিজ জানান। এর কয়েক ঘন্টা পর, বিবিসির সাথে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় ঐ একই দিনে স্থানীয় সময় দুপুর দুটো এক মিনিটে তোলা একটি বানরের ছবি। বানর ফোনটি খাবার চেষ্টা করছে। বানরটিকে দেখা যায় জঙ্গলে গাছপাতার মধ্যে থেকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে। পেছনে শোনা যায় পাখির ডাক। তার ফোনে দেখা যায় বানরের আরও কিছু ছবি, সেইসাথে গাছপালা এবং পাতার ছবি। মি. জাকরিজ বলেন রোববার দুপুর পর্যন্ত তিনি তার ফোনের কোন হদিশ পাননি। রোববার দুপুরে তার বাবা তাদের বাসার বাইরে একটি বানর দেখতে পান। তিনি মাঝে মাঝেই তার ফোন বাজাচ্ছিলেন। এসময় তিনি আবার তার ফোনে রিং করলে সেটি পেছনের জঙ্গল এলাকায় বাজছে বলে মনে হয়। তাদের বাসার পেছনের বাগান থেকে কয়েক পা দূরেই জঙ্গল। তিনি বলেন একটা পাম গাছের নিচে পাতার ভেতর তার ফোন কাদামাখা অবস্থায় পড়ে আছে। তার চাচা নাকি তাকে মজা করে বলেছিলেন দেখো ফোনে চোরের কোন ছবিটবি আছে কিনা। ফোন থেকে কাদা পরিষ্কার করার পর তিনি কৌতূহলবশতই ছবির গ্যালারি খুলে দেখেন ''সেখানে ভর্তি বানরের ছবি''। বানরের যে সেলফি মি. জাকরিজ পান তার হারানো ফোনে মি. জাকরিজ বলেছেন ফোনে আরেকটি বানরের ছবিও তিনি দেখেছেন বিশ্বের কোথাও কোথাও শোনা যায় শহরে বা শহরের আশেপাশে যেসব বানর থাকে, তারা মানুষের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। কিন্তু মি. জাকরিজ বলেছেন তিনি যেখানে থাকেন সেখানে তাদের পাড়া থেকে কখনও বানরের কোন কিছু চুরির করার ইতিহাস নেই। তিনি সন্দেহ করছেন তার ভাইয়ের শোবার ঘরের খোলা জানালা দিয়ে বানরটা সম্ভবত তাদের বাসায় ঢুকে থাকতে পারে। ''শতাব্দীতে হয়ত এমন ঘটনা একবারই ঘটে,'' রোববার এক টুইট বার্তায় লেখেন মি. জাকরিজ। তার ওই টুইট ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে এবং তা কয়েক হাজার লাইক পেয়েছে। এই টুইট থেকে স্থানীয় গণমাধ্যম বানরের ছবি তোলার ভিডিও নিয়ে খবরও করেছে। বানরের সেলফি তোলার খবর যে এই প্রথম শিরোনাম হয়েছে তা নয়। ২০১৭ সালে একটি ম্যাকাও প্রজাতির বানরের একটি ছবি নিয়ে ব্রিটিশ একজন আলোকচিত্রী পশু অধিকার আন্দোলনকারীদের সাথে দুই বছরের আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন। ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গলে নারুতু নামে ম্যাকাও প্রজাতির এক বানর ওই আলোকচিত্রী ডেভিড স্ল্যাটারের ব্যক্তিগত ক্যামেরা তুলে নিয়ে যায় এবং ওই ক্যামেরায় পরপর বেশ কয়েকটি ''সেলফি'' তোলে। মি. স্ল্যাটার যুক্তি দেন যে যেহেতু ক্যামেরা তার, তাই ওই ছবিগুলোর স্বত্বও তার। ওই ছবিগুলো ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল। কিন্তু পশু অধিকার সংস্থা পেটা বলে যে, ক্যামেরায় ছবি তোলার কৃতিত্ব যেহেতু বানরটির, তাই ওই ছবিগুলো থেকে অর্জিত কপিরাইটের অর্থ পশুদের কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত। আমেরিকারএকটি আদালত রায় দেয় যে স্বত্বাধিকারের বিষয়টি একজন বানরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এবং পেটার করা মামলা খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু মি. স্ল্যাটার ওই ছবিগুলো থেকে ভবিষ্যতে অর্জিত অর্থের ২৫% তিনি ইন্দোনেশিয়ার ম্যাকাও এবং অন্যান্য প্রজাতির বানরের কল্যাণে দান করতে রাজি হয়েছিলেন। | A Malaysian man says he found monkey selfies and videos on his missing phone a day after retrieving it in the jungle behind his house. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | প্যারিসের আইফেল টাওয়ার বন্ধ স্পেনে জরুরী কেনাকাটা, ঔষধ ক্রয় কিংবা কাজ ছাড়া মানুষজনের ঘরের বাইরে বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইটালির পর ইউরোপের মধ্যে স্পেনেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৯১ জন। ফ্রান্সে মারা গেছে ৯১ জন। সেখানে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল এবং বেশিরভাগ দোকানপাটই এখন বন্ধ। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটা ইতালিতে গত সোমবার থেকে লকডাউন চলছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৪৪০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইউরোপই এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে রয়েছে। করোনাভাইরাস গাইড: আপনার প্রশ্নের উত্তর করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে সাতটি বিষয় মনে রাখবেন যে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস স্পেনে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: ৪ কোটি ৬৭ লাখ জনসংখ্যার দেশ স্পেনে ৬,৩০০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজ এবং তার স্ত্রী বেগোনা গোমেজ শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই ১৮০০ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে দেশটিতে। বেশিরভাগই রাজধানী মাদ্রিদে। দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মি. স্যানচেজ দেশটির অধিবাসীদের অতি জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। সব জাদুঘর, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ক্রীড়াঙ্গন বন্ধ থাকবে। রেস্তোরা এবং ক্যাফে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি করতে পারবে। তবে ব্যাংক ও পেট্রোল স্টেশনের মতো জরুরি সেবা সংস্থা খোলা থাকবে। দেশজুড়ে স্কুলগুলো আগেই বন্ধ করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা দুই সপ্তাহ জারি থাকবে। তবে প্রয়োজন হলে এবং পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে বাড়বে। ফ্রান্স যা করছে: ৬ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের দেশ ফ্রান্সে ৪,৪০০ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত এগারোটায় শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, সিনেমা হল এবং নাইট ক্লাব। কম জরুরি সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বন্ধের আওতায়। খাবারের দোকান, ঔষধের দোকান, ব্যাংক, তামাকের দোকান ও পেট্রোল স্টেশন থাকবে নিষেধাজ্ঞার বাইরে, বলেন প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ্পে। রবিবারের স্থানীয় নির্বাচন বাতিল হয়েছে। ধর্মীয় ভবনগুলো খোলা থাকবে, তবে সমাগম এবং অনুষ্ঠানসমূহ বাতিল। পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। আরো খবর: করোনাভাইারাস আপনার শরীরে কী ঘটায়? আরো দু'জন করোনা রোগী শনাক্ত, ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ স্থগিত বিবিসি বাংলার জরিপে শ্রেষ্ঠ বাঙালি: ৩- কাজী নজরুল ইসলাম মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে জেল, সংবাদ প্রকাশের জের? | Two of the EU's biggest states, Spain and France, have followed Italy in announcing emergency restrictions to combat the spread of the coronavirus. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়কারী ইটালীর কোস্ট গার্ড বলছে, এ পর্যন্ত তারা সাগর থেকে চারশো মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছে। লিবিয়ার উপকুল থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে এসে এই মাছ ধরা নৌকাটি খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে। নৌকাটি থেকে পাঠানো বিপদ সংকেত পেয়ে চারটি জাহাজ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়। তিনটি হেলিকপ্টারও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে অভিবাসীরা সবাই নৌকার একদিকে জড়ো হওয়ার পর এটি উল্টে যায়। এ বছর ভূমধ্যসাগরে এরকম অভিবাসী বহনকারী নৌকা ডুবে এপর্যন্ত অন্তত দুহাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। | About 100 migrant passengers are feared drowned in the Mediterranean Sea after their boat sank off the coast of Libya. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | অং সান সু চিকে আটক রেখেছে মিয়ানমারের সেনা বাহিনী পুলিশের নথিতে দেখা যাচ্ছে তাকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। অং সান সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে আমদানি রফতানি নীতির লংঘন এবং অবৈধ যোগাযোগ যন্ত্র রাখা। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে যে তাকে রাজধানী নেপিডোতে তার বাসভবনে আটক রাখা হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে নথিপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কোভিড মহামারিরর মধ্যে জমায়েত নিষিদ্ধ করার আইন লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকেও দুই সপ্তাহের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পয়লা ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে সেনা বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে প্রেসিডেন্ট বা মিজ সু চি কাউকে দেখা যায়নি বা তাদের কোন খবর পাওয়া যায়নি। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মিন অং লাইং-এর নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট যে সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণ করেছে তারা এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে দেশ শাসন করবে। সেনাবাহিনী এই পদক্ষেপের পেছনে যুক্তি হিসাবে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। ওই নির্বাচনে মিজ সু চির ন্যাশানাল লিগ ফর ডেমোক্রাসি বিপুলভাবে বিজয়ী হয়। অভিযোগে বিস্তারিত কী রয়েছে? আদালতে পেশ করা পুলিশের নথিতে এইসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে মিজ সু চি যোগাযোগের জন্য ওয়াকি-টকি যন্ত্র অবৈধভাবে আমদানি করেছেন এবং তা ব্যবহার করেছেন। "বিবাদী পক্ষকে জেরা করার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনী সহায়তা নেয়া পর্যন্ত'' মিজ সু চিকে হেফাজতে রাখা হবে বলে পুলিশের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মি. উইন মিন্টকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা আইনের অধীনে অভিযুক্ত করে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি মোটর গাড়ির বহর নিয়ে সমর্থকদের সাথে দেখা করেছেন। অভ্যুত্থানের বিরোধিতা মিয়ানমারের বিরোধী আন্দোলনকারীরা গণভাবে আইন অমান্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীদের অনেকে হয় কাজ বন্ধ করেছেন, অন্যরা কাজ করলেও মিয়ানমারে স্বল্পস্থায়ী গণতন্ত্রকে দমন করায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে তারা প্রতিবাদী প্রতীক পরিধান করেছেন। প্রতিবাদকারী চিকিৎসাকর্মীরা বলছেন তারা মিজ সু চির মুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। তারা কালো অথবা লাল রিবন পরে এবং তিন আঙুল তুলে স্যালুট দেয়া তাদের ছবি পোস্ট করছেন, হাঙ্গার গেমস নামের চলচ্চিত্রের কায়দায়। গত বছর থাইল্যান্ডেও একই কায়দায় প্রতিবাদীদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। অনেকেই অনলাইনে সোশাল মিডিয়াতে তাদের প্রোফাইল ছবি বদলে দিয়েছে, সেখানে ছবির বদলে তারা প্রোফাইলে দিয়েছে শুধু লাল রং। আরও পড়তে পারেন: ম্যান্ডালেতে প্রতিবাদী চিকিৎসকরা ''বেসামরিক পর্যায়ে আইন অমান্য আন্দোলনকে পুরো মিয়ানমারে ছড়িয়ে দেয়া এখন তরুণ প্রজন্মের অন্যতম একটি কৌশল,'' ইয়াঙ্গন ইউথ নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা থিনজার শুনলেই বিবিসিকে বলেছেন। "তারা সরকারি কর্মচারিদের এই আহ্বানে সাড়া দেবার অনুরোধ করছে। যাতে তারা সামরিক জান্তা সরকারের পক্ষে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।" আইন অমান্য আন্দোলন সমন্বয়ের জন্য ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থান: নির্বাচন কেন্দ্র করে কেন এই ক্যু? এছাড়াও বড়ধরনের প্রতিবাদের কিছু নমুনা দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রধান শহর ইয়াঙ্গনে গাড়ির চালকরা হর্ন বাজিয়ে এবং বাসিন্দারা রান্নার পাত্র বাজিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ জানিয়েছে। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে মূলত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে এবং রাত্রিকালীন কারফিউ বলবৎ রয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ সমর্থন করেও বিক্ষোভ হয়েছে। একটি সমাবেশে প্রায় ৩০০০ হাজার মানুষের উপস্থিতির খবর দিয়েছে এপি বার্তা সংস্থা। অভ্যুত্থানে অন্য দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া সাতটি উন্নত অর্থনীতির দেশের গোষ্ঠী বলেছে তারা এই ঘটনায় ''গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'' এবং তারা দেশটিকে গণতন্ত্রের পথে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। ''আমরা সেনা বাহিনীকে অবিলম্বে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবার, অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তিদানের এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি,'' বলা হয়েছে লন্ডন থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে। এই জি-সেভেন গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলো হল কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়ে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে চীন এব্যাপারে একমত না হওয়ার কারণে। শান্তিরক্ষার ব্যাপারে জাতিসংঘের এই কাউন্সিলে যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশের ভেটো দানের অধিকার রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে চীন। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা আন্তর্জাতিক চাপ দেশটির পরিস্থিতি আরও খারাপ করবে। আন্তর্জাতিক মহলের নজরদারি থেকে মিয়ানমারকে সুরক্ষা দেবার ক্ষেত্রে সবসময়ই চীন একটা ভূমিকা পালন করে এসেছে। চীন মিয়ানমারকে তার অর্থনীতির জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসাবে গণ্য করে এবং মিয়ানমারের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ দেশগুলোর একটি হল চীন। দেশটির রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর দমন ও নিপীড়ন নিয়ে জাতিসংঘের সমালোচনায় বারবার মিয়ানমারের পাশে ছিল চীন। প্রেসিডেন্ট এবং অং সান সুচি সহ ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের যেসব নেতাদের আটক করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী | Police in Myanmar, also known as Burma, have filed several charges against the elected civilian leader Aung San Suu Kyi following Monday's military coup. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | মাইক পম্পেও বলেছেন, মার্কিন দূতাবাসগুলোতে হামলার পরিকল্পনা ছিল ইরানের যখন মিস্টার ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কোন ধরণের হুমকি শুক্রবারের ড্রোন হামলার পেছনে কাজ করেছে তখন তিনি বলেন, "আমি এটুকু বলতে পারি যে, আমার বিশ্বাস এটা হয়তো চারটি দূতাবাস ছিল।" বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভের পর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি যাকে কিনা ইরানের জাতীয় নায়ক হিসেবে দেখা হতো, তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ড্রোন হামলা সম্পর্কে ডেমোক্রেটরা যে গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছে তাতে তারা বলেছে যে দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার কোন প্রমাণ পায়নি তারা। বৃহস্পতিবার মিস্টার ট্রাম্প দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ প্রথমে হোয়াইট হাউসে আনেন । পরে তিনি সেদিন রাতে ওহাইয়োতে একটি র্যালিতে গিয়ে আবারো একই অভিযোগ করেন। তার এই অভিযোগে সমর্থন দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। "আমাদের কাছে আসন্ন হামলার হুমকির সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল এবং এই হুমকির মধ্যে মার্কিন দূতাবাসগুলোও ছিল," ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় তিনি এসব কথা বলেন। ৬২ বছর বয়সী সোলেইমানি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সব কর্মসূচীর মূল হোতা ছিলেন। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরীয় সরকারের লড়াই এবং ইরাকে ইরানপন্থী আধা সামরিক বাহিনীর উত্থানেরও কারিগর ছিলেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: 'আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি': আয়াতোল্লাহ খামেনি ইরানের হামলায় উত্তেজনা কমবে নাকি বাড়বে? কুদস ফোর্সে সোলেইমানির স্থলাভিষিক্ত হলেন যিনি বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে গাড়িবহরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলেইমানি মিস্টার ট্রাম্প এবং মিস্টার পম্পেও দাবি করেছেন, হাজার হাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিলেন তিনি। শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হয়, গত ৩রা জানুয়ারি ইয়েমেনে বসবাসরত গুরুত্বপূর্ণ ইরানি কমান্ডার এবং অর্থায়নকারী আব্দুল রেজা শাহলাই-কেও টার্গেট করেছিল মার্কিন বাহিনী। তারা বেনামী এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলে, গোপন ওই মিশনে মারা যাননি ওই কমান্ডার। তবে ইয়েমেনে অভিযান চালানোর বিষয়ে এখনো সরাসরি কোন মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটন। ট্রাম্প কি বলেছেন? গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে পরিবেশ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রথমবার মন্তব্য করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি হামলার অনুমোদন দিয়েছেন কারণ ইরান "আমাদের দূতাবাসগুলো উড়িয়ে দিতে চাইছিল।" তিনি আরও বলেন যে, এটা "নিশ্চিত" যে, "বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভকারীরা যে হামলা চালিয়েছিল সোলেইমানির মৃত্যুর কয়েক দিন আগে ইরানই তার আয়োজন করেছিল।" "আর আপনারা জানেন যে কে এটা আয়োজন করেছিল। সেই ব্যক্তি এখন আর কোথাও নেই। ঠিক আছে? আর তার পরিকল্পনায় আরো কয়েকটি নির্দিষ্ট দূতাবাসের কথা মাথায় ছিল।" বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস পাহারা দিচ্ছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী ওহাইয়োতে, এক ভরা সভায় মিস্টার ট্রাম্প বলেন যে, "সোলেইমানি সক্রিয়ভাবে নতুন হামলার পরিকল্পনা করছিলেন, আর শুধু বাগদাদের দূতাবাসই নয় বরং তিনি আমাদের অন্য দূতাবাসগুলোকেও গুরুত্বের দিচ্ছিলেন।" এদিকে ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করেছে যে, হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে আগে থেকে আইনপ্রণেতাদের যথাযথ প্রজ্ঞাপন দেয়নি। এ অভিযোগে প্রেক্ষিতে ট্রাম্প তাদের উপহাস করে বলেন যে, তাহলে ডেমোক্রেটরা মার্কিন সামরিক পরিকল্পনা মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দিত। কী প্রমাণ রয়েছে? মিস্টার ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভকে ইরানের পরিকল্পনার প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছেন। যাই হোক, বাগদাদ বিমানবন্দরে সোলেইমানির গাড়ি বহরে মার্কিন হামলার আগেই সেই বিক্ষোভ শেষ হয়ে গিয়েছিল। হাউস সশস্ত্র সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম স্মিথ যিনি একজন ডেমোক্রেট, তিনি বুধবার হোয়াইট হাউসে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ভবিষ্যতে মার্কিন দূতাবাসে ইরানের হামলার পরিকল্পনার কোন প্রমাণ নেই। "আমি সব পর্যায়ের সবার সাথে কথা বলেছি, এমনকি আমি হোয়াইট হাউসেরও অনেকের সাথে কথা বলেছি, তারা কেউই এমন কিছু বলেনি," পলিটিকো-কে তিনি একথা বলেন। "আমাকে যা বলা হয়েছে তাতে, কোন নির্দিষ্ট টার্গেটের কথা বলা হয়নি, আমাদের কাছে যে গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাতে কোন নির্দিষ্ট টার্গেটের কথা উল্লেখ করা হয়নি," তিনি বলেন। "প্রেসিডেন্টের কাছে যদি নির্দিষ্ট টার্গেটের প্রমাণ থাকে, তাহলে সেটি আমাদের জানানো হয়নি।" ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, যিনি নভেম্বরের নির্বাচনে মিস্টার ট্রাম্পের প্রতিযোগী হবেন, তিনি বলেন, মিস্টার ট্রাম্পকে বিশ্বাস করা যায় না। এনবিসি নিউজ-কে তিনি বলেন,"সমস্যাটি হচ্ছে, আমি অবশ্য এতটা কঠিনভাবে বলতে চাইনি, তবে আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি অস্বাভাবিকভাবে মিথ্যা বলেন।" সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, মিস্টার ট্রাম্প একজন মিথ্যাবাদী যাকে বিশ্বাস করা যায় না। "সুতরাং এটা কি সত্য হতে পারে? হয়তো পারে। কিন্তু যদি বলা হয়, এটা কি সত্য হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে? হয়তো না," তিনি বলেন। সোলেইমানির মৃত্যু কেন হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জরুরী হয়ে উঠলো, হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা না পেয়ে শুধু ডেমোক্রেটরাই হতাশ হয়নি। উতাহ এর রিপাবলিক সিনেটর মাইক লি হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনের কড়া সমালোচনা করে একে "অপমানজনক" এবং "সম্পূর্ণ অগ্রহনযোগ্য" বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনকে "ঘটনার পরের অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত ও খোঁড়া" বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, হোয়াইট হাউস সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে কংগ্রেসের সাথে সমন্বয় করতে গিয়ে এর কর্মকর্তারা কারণ "সনাক্ত করতে হিমশিম খেয়েছে"। বৃহস্পতিবার, মার্কিন পার্লামেন্টর প্রতিনিধি পরিষদ ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে মিস্টার ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার, ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। যার উদ্দেশ্য ইরানকে "বৈশ্বিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা থেকে প্রতিহত করা," বলেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভ নুচিন। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইরানের অবকাঠামো নির্মাণ, উৎপাদন এবং খনি শিল্পের উপর প্রভাব ফেলবে। মিস্টার পম্পেও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার টার্গেট ইরানের "অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা যন্ত্রপাতি"। এক বিবৃতিতে মিস্টার ট্রাম্প ইরানকে "বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের নেতৃস্থানীয় অর্থায়নকারী" বলে উল্লেখ করেন এবং "ইরান রাষ্ট্র হিসেবে তাদের ব্যবহার পরিবর্তন না করা পর্যন্ত" ইরানের হুমকি মোকাবেলা করার শপথ নেন। | Iran was planning attacks on four US embassies when its top general was killed, President Donald Trump says. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | রাতের অন্ধকারে পুলিশ তাড়া করলে দুর্ঘটনায় পড়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী গাড়ি। একসাথে হয়ে ১৯৮৯ সালে বিপ্লব শুরু করেছিলেন তারা যাতে পতন ঘটেছিল কমিউনিস্ট একনায়ক নিকোলাই চসেস্কুর। এখনও এই শহর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লোকজনকে স্বাগত জানাচ্ছে, অন্তত তাদেরকে সহ্য করে নিচ্ছে। এরা আফগান, পাকিস্তানি, কুর্দি কিম্বা সিরিয়ান নাগরিক। তাদের সবারই গন্তব্য পশ্চিম ইউরোপ। দীর্ঘ পথ চলতে গিয়ে মাঝে কয়েকদিনের জন্যে শুধু আশ্রয় নেওয়া এই তিমিসোরা শহরে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই শহরের স্থানীয় লোকজনের আতিথেয়তায় ও আচরণে মুগ্ধ হয়ে তিমিসোরার প্রেমে পড়ে গেছেন এবং এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পশ্চিম ইউরোপে এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের বেশিরভাগই তাদের জীবন সঁপে দিয়েছেন পাচারকারীদের হাতে। গত বছরের অক্টোবর মাসে এখান থেকেই ১৮ জনের একটি দল যাত্রা শুরু করেছিল পশ্চিম ইউরোপ অভিমুখে। যাত্রাপথে তাদের একজন নারী, যিনি দুটো যমজ বাচ্চার মা এবং পাচারকারী ব্যক্তি এই দু'জন মারা গেছেন। রোমানিয়ার সাথে হাঙ্গেরির সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা। স্থানীয় একজন পাচারকারীর নেতৃত্বে তারা যাত্রা শুরু করেন ২০১৭ সালের ১লা অক্টোবর। তাদের গন্তব্য জার্মানি অথবা ইতালি। কিন্তু প্রথমে সীমান্ত পার হয়ে পৌঁছাতে হবে হাঙ্গেরি। তাদের কেউ কেউ কুর্দিস্তানে থাকতেই একে অপরকে চিনতেন। বাকিরা তিমিসোরা শহরে এসে অন্যদের সাথে পরিচিত হয়েছেন। রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তারা হাঁটতে শুরু করেন। টানা দুই রাত ধরে তারা হাঁটতে থাকেন। দিনের বেলায় তারা লম্বা লম্বা ভুট্টা ক্ষেতের ভেতরে লুকিয়ে থাকতেন। আবার হাঁটা শুরু করতেন অন্ধকার নেমে এলেই। তাদেরই একজন আইদি বলেন, "খুব ঠাণ্ডা ছিল সেসময়।" সাফা নামের আরেকজন বলেন, "শিশু আর নারীদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ।" তৃতীয় দিন রাতের বেলায়, রাত ঠিক দুটোর দিকে, তিউনিসিয়ার একজন পাচারকারী একটি কালো ভ্যান গাড়িতে তাদের তুলে নিয়ে যায়। ওই ভ্যানের প্লেট নম্বরটি ছিল ইতালির। তারপর তারা যাত্রা শুরু করেন সীমান্তের দিকে। মুরাত নামের একজন বলেন, "আমার ধারণা হাঙ্গেরির পুলিশ ইতোমধ্যেই আমাদের অনুসরণ করতে শুরু করে। কারণ তারা খুব দ্রুতই আমাদের পেছনে এসে ধাওয়া করতে শুরু করলো।" পাচারকারী চালক যখন তার গাড়ির আয়নায় নীল আলোর ফ্ল্যাশ দেখতে পেলো - তখন সে চিৎকার করে তার যাত্রীদেরকে গাড়ির ভেতর থেকে নেমে যেতে বললো। চালক তখন অসম্ভব দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে শুরু করলো। তখনই গাড়িটি গিয়ে ধাক্কা খেলো পুলিশের একটি রোডব্লকের সাথে। সেখানেই প্রাণ হারালেন ন'বছর বয়সী দুটো যমজ বাচ্চার মা, বারান। আর পাচারকারী চালক মারা গেলেন পরদিন। এই দুজনকে রোমানিয়াতে ফেরত পাঠানো হলেও পরে তারা জার্মানিতে চলে আসতে সক্ষম হন। আরো পড়তে পারেন: ভারতে বিজিবির সন্তানদের লেখাপড়া, স্ত্রীদের সফর মিয়ানমারে যে কারণে দুই সাংবাদিকের জেল হলো হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও বাবা-মা যে ১৭ জন প্রাণে বেঁচে গেলেন তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হলো। তাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল হালি নামের এক ইরাকি নারীর। তার হাত ও পা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গার হাড় এমনভাবে ভেঙে গিয়েছিল যে তিনি উঠেও বসতে পারতেন না। তার স্বামী ইরাকে। এক ছেলে জার্মানিতে। ওখান থেকেই তারা পাঠিয়েছে চিকিৎসার খরচ। হালির এক ছেলে সাফা আছেন তার সাথে। হাসপাতালের কাছেই অল্প খরচে একটা থাকার জায়গা ভাড়া করেছেন তারা। চিকিৎসার বিল ইতোমধ্যেই ১০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। হাতে আর কোন টাকা পয়সা নেই তাদের। সাফা বলেছেন, হাঙ্গেরির সরকার নতুন যে আইন পাস করেছে সেখানে অভিবাসী এবং অভিবাসীদেরকে কেউ সাহায্য সহযোগিতা করলে তাকে শাস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও হাসপাতালে তারা যে চিকিৎসা পেয়েছেন তাতে তারা খুশি। তবে তাদের সাথে হাঙ্গেরির পুলিশের আচরণে তারা খুশি হতে পারেন নি। তারা জানান, সবসময় ওয়ার্ডে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। তারা সুস্থ হয়ে গেছে এরকম কাগজপত্রে সই দেওয়ার জন্যে ডাক্তারদেরকে তারা অনেক চাপ দিয়েছে, যাতে তাদেরকে অচিরেই রোমানিয়ায় ফেরত পাঠানো যায়। একসময় সবাইকে তিমিসোরায় ফেরত পাঠানো হলো। এতিম ওই দুই যমজ শিশু রয়ে গেল হাঙ্গেরিতে। তাদের সাথে ছিল ১২ বছর বয়সী আরো একটি মেয়ে-শিশু। সে একাই ছিল ওই দলে। গুরুতর আহত হওয়ার কারণে হালিকেও ফেরত পাঠানো হয়নি। তার দুই শিশুও রয়ে গেল তার সাথে, হাঙ্গেরিতে। কিন্তু এখানেই যাত্রা শেষ হয়নি বাকিদের। তাদের একজন আখির খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে লরিতে করে পৌঁছে গেছেন জার্মানিতে। এজন্যে তার সময় লেগেছে ৩৭ ঘণ্টা। আশ্রয় চেয়ে জার্মান সরকারের কাছে তিনি আবেদনও করেছেন। আরো তিনজন গত মে মাসে এসে পৌঁছেছেন জার্মানির হানোফার শহরে। তার আগে তাদেরকে চেক প্রজাতন্ত্রের একটি বন্দী শিবিরে দু'মাস কাটাতে হয়েছে। তারা আসছিলেন একটি লরিতে করে। ধরা পড়লে তাদেরকে ওই শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তিমিসোরা থেকে হাঙ্গেরি হয়ে পশ্চিম ইউরোপে- একটি মানচিত্র। তিমিসোরায় গুজব হচ্ছে এরকম যাত্রার জন্যে পাচারকারীকে দিতে হয় দু'হাজার ডলার আর সীমান্ত রক্ষীদের আরো এক হাজার ডলার। হাঙ্গেরির পুলিশ অবশ্য এরকম অভিযোগ স্বীকার করেনি। আইদি, যিনি জার্মানির একটি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছেন, তিনি বলেন, ভয় তাকে এতোটা তাড়া করেছিল যে তার মনে হয়েছিল পুলিশ তাকে এখানেও এসে খুঁজে বের করবে। ট্রাকের পেছনে লুকিয়ে সামির গত এপ্রিল মাসে চলে গেছেন ইতালি। দুই যমজ কন্যাকে দত্তক নিয়েছে জার্মানিতে তাদেরই কিছু আত্মীয় স্বজন। হুরিয়াকে নিয়েছেন ভিয়েনাতে তার এক খালা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার মধ্যস্থতায় সাফা এবং হালিকে রাখা হয়েছে হাঙ্গেরির একটি আশ্রয় কেন্দ্রে। পরিবারের সাথে একত্রিত হওয়ার জন্যে তাদের আবেদন জার্মান সরকার অনুমোদনও করেছে। বাকিদের সাথেও যোগাযোগ করে জানা গেছে যে তারা এখন জার্মানিতে। ওমর নামের একজনকে জার্মানি থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রোমানিয়ায়। দুর্ঘটনার প্রায় ন'মাস পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই পশ্চিম ইউরোপে তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু দুর্ঘটনার ভয়াল সেই স্মৃতি তাদেরকেও এখনও তাড়া করছে। রাজনীতিকরা যতোই দাবি করুক না কেন যে অভিবাসীদের ইউরোপে আসার পথ বলকান রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তারপরেও এই পথে লোকজনের আসা অব্যাহত রয়েছে। | In Romania's western city of Timisoara, Romanians, Hungarians and Germans have lived side-by-side for centuries. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | নতুন করোনাভাইরাসে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। ডাব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক ডা. টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সাংবাদিকদের বলেন, ভুল তথ্য "আমাদের সাহসী কর্মীদের কাজকে আরো কঠোর করে তুলছে।" বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে ৩৪ হাজার ৮০০ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে যাদের মধ্যে বেশিরভাগই চীনে। চীনে এ পর্যন্ত ৭২৩ জন এবং ফিলিপাইনে একজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ডা. টেডরস বলেন, চীনে আক্রান্ত ৩৪,৫৯৮ জনের মধ্যে ২৫০০০ জনই উবেই প্রদেশের। এই প্রদেশটিতেই প্রথম সংক্রমণ শুরু হয়েছিল এবং এর পর থেকে সেটি এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। "আমি সত্য তথ্যের ভীতি নিয়ে নয় বরং গুরুত্ব নিয়ে সংক্ষেপে কথা বলতে চাই," ডা. ট্রেডরস বলেন, "নিজের এবং অন্যদের সুরক্ষার জন্য মানুষের সঠিক তথ্য জানার সুযোগ থাকতে হবে।" করোনাভাইরাস উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে যা দেখলো বিবিসি তিনি বলেন যে, ২০১৯-এনকভ নিয়ে ভুল তথ্য "সাধারণ মানুষের মনে দ্বন্দ্ব এবং ভীতির সঞ্চার করে।" "ডাব্লিউএইচও'তে আমরা শুধু ভাইরাসের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি না, বরং এনিয়ে ট্রল বা ব্যঙ্গ এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিরুদ্ধেও লড়ছি যা আমাদের পদক্ষেপকে দুর্বল করে দিচ্ছে," তিনি বলেন। "আজ গার্ডিয়ানের(সংবাদপত্র) এক শিরোনামে বলা হয়েছে, 'করোনাভাইরাস নিয়ে ভুল তথ্যই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক'।" ওই প্রতিবেদনে যা গার্ডিয়ানের মতামত অংশে প্রকাশিত হয়েছে সেখানে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম কুচারস্কি বলেন, অনলাইনে ভাইরাস নিয়ে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে "সেগুলোকে বাস্তব জীবনে ভাইরাস হিসেবে গণ্য করা।" সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে ভাইরাসটি নিয়ে বেশ কিছু ষড়যন্ত্র তত্ত্বও ছড়িয়ে পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল ওয়ান তাদের সন্ধ্যার প্রাইম টাইম সংবাদ অনুষ্ঠান ভ্রেমিয়াতে করোনাভাইরাস নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সম্প্রচার করছে। এর অংশ হিসেবে একজন উপস্থাপক ভাইরাসটির সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সংশ্লিষ্ট করেছেন, এবং দাবি করেছেন যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কিংবা ওষুধ কোম্পানিগুলো এর পেছনে দায়ী। আরো পড়তে পারেন: করোনাভাইরাস: রুশ মিডিয়ায় মার্কিন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করোনাভাইরাস: ছড়িয়ে পড়ছে গুজব, উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস: চীনে বন্যপ্রাণীর ব্যবসা নিষিদ্ধ করার দাবি এছাড়া ব্রিটিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাবলয়েড মিডিয়ায় প্রকাশিত আরেকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব-যেটি পড়ে ভুল প্রমাণিত হয়েছে- সেটিতে চীনের এক নারীর বাদুরের স্যুপ খাওয়ার ভিডিও'র সাথে করোনাভাইরাসকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শুরুর দিকে এটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহানে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু আসলে ভিডিওটি চীনে নয় বরং ২০১৬ সালে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের পালাউ'তে ধারণ করা হয়েছিল। আর এখন গত মাসে প্রকাশিত ব্যাপক হারে অসমর্থিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় করোনাভাইরাসকে সাপের সাথে সংশ্লিষ্ট বলা হচ্ছে- যার জেরে এটিকে "স্নেক ফ্লু" বলে বিশ্ব জুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস নিয়ে সর্বশেষ কী জানা যায়? ডা. টেডরস বলেন, ভাইরাসটি এখনো উবেই কেন্দ্রিক এবং গত চার দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যায় কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। যাই হোক, তিনি বলেন যে, ভাইরাসটির সংক্রমণ একটি জায়গায় এসে স্থির হয়েছে কিনা তা এখনই বলা যাবে না। কারণ প্রাদুর্ভাব সাধারণত দ্বিতীয় বার ব্যাপক হারে শুরু হওয়ার আগে সংক্রমণ কিছুটা ধীর হয়। কিন্তু তিনি বলেন যে, "ধীর হওয়াটা" ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার একটা সুযোগ তৈরি করে। এদিকে, চীনের মূল ভূ-খণ্ড থেকে আসা যে কাউকে দুই সপ্তাহ কোয়ারিন্টিনের রাখা বাধ্যতামূলক করে নতুন নিয়ম চালু করেছে হংকং। পর্যটকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের হোটেল কক্ষে নিজেদের আলাদা করে রাখতে কিংবা সরকার পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে থাকতে। আর বাসিন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বাইরে বের না হয়ে তাদের বাড়িতেই অবস্থান করতে। ডা. লি ওয়েনলিয়াং যিনি গত ডিসেম্বরেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করতে চেয়েছিলেন, তার মৃত্যু চীনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। নতুন এই নিয়ম কেউ না মানলে তার জেল এবং জরিমানা হতে পারে। হংকংয়ে এখনো পর্যন্ত ২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার উহানের জিনইনতান হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সী একজন মার্কিন নাগরিক মারা গেছে। এর মধ্য দিয়ে চীনের নাগরিক বা চীনা বংশোদ্ভূত নয় এমন কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। শনিবার, ফ্রান্স নিশ্চিত করেছে যে, তাদের উঁত-স্যাবোয়া এলাকায় নতুন করে পাঁচ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে। ফরাসি স্বাস্থ্য মন্ত্রী অ্যানিয়েস বুজা বলেন, নতুন আক্রান্ত পাঁচ জনই ব্রিটিশ নাগরিক এবং তারা একটি কাঠের কটেজে থাকতেন। কটেজটিতে একজন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন যিনি সিঙ্গাপুর ঘুরে এসেছেন। তবে তাদের অবস্থা মারাত্মক নয় বলে জানানো হয়েছে। কটেজে থাকা অন্য ছয় ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চীনে এক চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়েও ব্যাপক ক্ষোভ ও বিষাদ তৈরি হয়েছে। এই চিকিৎসক নতুন করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি উবেই প্রদেশের উহানে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় এতে আক্রান্ত হন। | The World Health Organisation (WHO) has warned that "trolls and conspiracy theories" are undermining their response to the new coronavirus. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | বুধবারে ভয়াবহ হামলায় নিহত হয়েছে ১৭ জন তার ভাষায় গোয়েন্দা সংস্থাটি বেশি সময় ব্যয় করে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের সাথে রাশিয়ার যোগসূত্র খুঁজতে। এমন টুইটই করেছেন তিনি। "সেখানে কোন ষড়যন্ত্র নেই। মূল কাজে ফিরে যাও এবং আমাদের গর্বিত করো"। আরও পড়ুন ফ্লোরিডা স্কুল হত্যাকাণ্ডের দিনের নায়করা চীনে কুকুরের জন্য এতো আয়োজন কেন? প্রেমে আর যৌনতায় আগ্রহ হারাচ্ছে জাপানী তরুণরা যদিও এফবিআই ইতোমধ্যেই স্বীকার করেছে যে ফ্লোরিডার সন্দেহভাজন হামলাকারী নিকোলাস ক্রুজ সম্পর্কে তথ্য পেয়েও তারা যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি তারা। পার্কল্যান্ডের ওই স্কুলে ১৭ জনের নিহত হওয়ার ঘটনাকে ২০১২ সালের পর স্কুলে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর আবারও আলোচনায় এসেছে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিষয়টি। এবং নির্বাচনী প্রচারের সময় ন্যাশনাল রাইফেলস এসোসিয়েশনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নেয়ায় সমালোচনা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও। বন্দুক আইন সংস্কারের দাবি জোরালো হচ্ছে কি বলছেন ট্রাম্প? টুইটে তিনি বলেছেন "খুবই দু:খজনক যে এফবিআই সব ধরনের সতর্কবার্তা মিস করেছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়"। এ সপ্তাহের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জন্য ১৩ রাশিয়ানের ওপর অভিযোগ এনেছে এফবিআই। তিনটি রাশিয়ান কোম্পানিও রয়েছেন এ তালিকায়। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য এ ধরনের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ওদিকে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা ওঠার পর উল্টো ডেমোক্র্যাটদের দোষারোপ করে মিস্টার ট্রাম্প বলেছেন হাউজ ও সেনেট উভয়কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা যখন ছিলো তখন কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এখন কথা বলছে ডেমোক্র্যাটরা। | President Donald Trump has rebuked the FBI for missing signals before Wednesday's school shooting in Florida. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | আপনার তেলাপোকার নাম কী হবে? এরপর মীরক্যাট নামে এক ধরণের বনবিড়ালের খাদ্য বানানো হবে সেই সব তেলাপোকাকে। চিড়িয়াখানায় মীরক্যাটের বেষ্টনীর মুখে লেখা থাকবে নামকরণ হওয়া সেই সব সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকার নাম, পরে যা সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট করা হবে। আয়োজক সারাহ বোরেগো বলছেন, ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের প্রথাসিদ্ধ উদযাপনের বিপরীতে এই আয়োজন 'ব্যতিক্রমী এবং মজার'। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে পোষ্ট দিচ্ছেন "আমাদের সবারই প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকা আছে, যাদের সাথে ঘটে যাওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলোর কথা আমরা ভুলিনি। এই আয়োজনের মাধ্যমে হয়ত আমরা মনের ভেতরের হতাশা কিছুটা হলেও ঝেড়ে ফেলতে পারবো।" ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিনে এই অনুষ্ঠান যখন চলবে সেটি সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে এই ইভেন্ট ঘোষণা করে, ইতিমধ্যেই পনের শত মানুষ এতে অংশ নেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এবং এখনো বহু মানুষ অংশ নেবার আগ্রহ প্রকাশ করে লিখছেন। এর মধ্যে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে এমনকি জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া থেকেও আবেদন করছেন। এরই মধ্যে এই আয়োজন নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে টুইটারেও। কেমন হবে এই আয়োজন? সাবেক প্রেমিক প্রেমিকার নামের প্রথম অংশটি কেবল উল্লেখ করা যাবে এই প্রতিযোগিতায়। মীরক্যাট তেলোপোকা খুব পছন্দ করে চিড়িয়াখানার মূল ফটকে বড় স্ক্রিনে দেখা যাবে সেসব নাম, একই সাথে সামাজিক মাধ্যমেও প্রকাশ করা হবে নাম। মিস বোরেগো মনে করেন এই আয়োজনে যুক্ত হবার জন্য মানুষের যে ব্যাপক আগ্রহ, তার ফলে এটাই প্রমাণ হয় যে কত মানুষ ভ্যালেন্টাইনস ডের প্রথাগত উদযাপনের ওপর বিরক্ত। এছাড়া চিড়িয়াখানার এই অভিনব উদযাপন নিয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ আপত্তি জানায়নি, এমনকি সামাজিক মাধ্যমেও নয়। যদিও এখনো এ নিয়ে 'বিতর্ক বা সমালোচনার সুযোগ রয়েছে' বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা। তেলাপোকার ভাগ্যে কী ঘটবে? হতাশ বা ক্রুদ্ধ বা ক্ষুব্ধ প্রেমিক-প্রেমিকার হতাশার বোঝা নিয়ে একদিনের জন্য তেলাপোকাগুলো নিজেদের উৎসর্গ করবে। অস্ট্রেলিয়ার এক চিড়িয়াখানা সাপের নামে হবে 'সাবেকে'র নাম কয়েক হাজার তেলাপোকা মীরক্যাট এবং বানরের পেটে যাবে। "মানুষ যেমন কুকি খায়, সেরকম একবারে একটি করে তেলাপোকা খাওয়ানো হবে।" তবে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই অন্য কয়েকটি চিড়িয়াখানা এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সিডনী চিড়িয়াখানায় নিজের সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার নামে বিষাক্ত সাপের নামকরণ করার সুযোগ দিচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। তবে, সেজন্য নিয়ম হচ্ছে, কেন তাদের 'সাবেক' এর নামে বিষাক্ত সাপের নাম হবে সেটি প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করতে হবে। | A zoo in the US state of Texas is celebrating Valentine's Day by inviting visitors to name cockroaches after their ex-partners. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড। ইউটিউবে খেলা দেখিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই দল। হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড ফুটবল দলটি গড়ে তুলেছেন তারা বন্ধুবান্ধবরা মিলে। তারা সবাই কোন না কোন পেশায় কাজ করছেন। সখের বশে ফুটবল খেলেন। কিন্তু তাদের ফুটবল দল এতটাই সাড়া ফেলে দিয়েছে যে এর মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্র, সার্বিয়া, আয়ারল্যান্ড ঘুরে এসেছেন। খেলেছেন ওয়েম্বলি আর ইতিহাদ স্টেডিয়ামের মতো জায়গায়। তাদের এই সাফল্যের পেছনে একটাই রহস্য: ইউটিউবে সযত্বে প্রচার করা তাদের খেলা। হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেডের একেকটি ম্যাচ ইউটিউবে দেখছেন গড়ে সাত লাখ দর্শক। দলের অধিনায়ক স্পেনসার ওয়েন একজন সফল ইউটিউবার দলের অধিনায়ক স্পেন্সার ওয়েন অবশ্য একজন সফল ফুটবল এবং গেমিং ইউটিউবার। তাকে ইউটিউবে ফলো করেন প্রায় বিশ লাখ মানুষ। সেই সাফল্যকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন তাদের দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কাজে। স্পেন্সার ওয়েন সব সময় নিজের একটা ফুটবল ক্লাব গড়বেন, এমন স্বপ্ন দেখতেন। তার স্বপ্ন সফল হয়েছে। একটি ভিডিও গেম ফ্রাঞ্চাইজ ফিফা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তারা একটি কাল্পনিক টুর্নামেন্ট তৈরি করেছেন। এই টুর্নামেন্টে হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড ফুটবল ম্যাচ খেলে বাস্তব কিছু দলের সঙ্গে। ফিফথ ডিভিশন থেকে খেলা শুরু করে এখন হ্যাশট্যাগ ইউনাইডেট পৌঁছে গেছে ফার্ষ্ট ডিভিশনে। প্রতিটি খেলায় প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে তারা রেলিগেশনের শিকার হয় বা উপরে উঠে। হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড নিজেরাই ঠিক করে তারা কাদের বিরুদ্ধে খেলবে। মাঝে মাঝে তারা নামকরা ফুটবল ক্লাবগুলোর মাঠেও খেলতে যায়। আর তাদের সব খেলা দেখানো হয় ইউটিউবে। ছয় সদস্যের ক্যামেরাম্যানদের একটি দল সারাক্ষণ তাদের ফলো করে। সযত্নে তারা প্রতিটি ম্যাচ ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়ে। এতে খরচ হয় অনেক। কিন্তু বিভিন্ন স্পন্সরদের জন্য তারা খরচ উঠিয়ে নেয়। কোকা-কোলার মতো কোম্পানিও তাদের স্পন্সর করেছে। দলটির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে। হ্যাশট্যাগের চার খেলোয়াড় বড় বড় ফুটবল ক্লাবের মতো হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড তাদের মার্চেনডাইজও বাজারে ছেড়েছে। তারা রিয়েলিটি টিভি শো এক্স-ফ্যাক্টরের স্টাইলে নতুন এক খেলোয়াড় নেয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে আবেদন করেছিল ২০ হাজার জন। সব খেলা রেকর্ড করে দেখানো হয় ইউটিউবে উত্তর লন্ডনের যে মাঠে হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড তাদের নিয়মিত প্র্যাকটিস করে, সেটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা মাত্র এক হাজার। কিন্তু দলটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে তারা তাদের ম্যাচের দিন তারিখ আগে থেকে জানায় না বেশি মানুষের ভিড় এড়াতে। কারণ তাদের মূল লক্ষ্য ইউটিউবের জন্য ম্যাচের ভিডিও তৈরি করা, যেখানেই তারা লাখ লাখ দর্শকের কাছে পৌঁছায়। | "We're average footballers living the professional footballer dream," says Seb Carmichael-Brown, vice-captain of amateur side Hashtag United. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | মিশেল ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনের সাথে সৌদি আন্দোলকর্মী সামার বাদাউই। কিন্তু দেশটিতে নারীদের ওপর এখনও অনেক ধরনের বিধিনিষেধ চালু আছে। এর অন্যতম হচ্ছে 'পুরুষ অভিভাবকতন্ত্র' যেখানে একজন নারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো তিনি নিজে নিতে পারেন না। তার পক্ষ হয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুধুমাত্র তার বাবা, ভাই, স্বামী কিংবা ছেলে। চলতি বছরের শুরু থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা, যখন এক সৌদি তরুণী বাড়ি থকে পালিয়ে ব্যাংককে গিয়ে সেখানকার বিমানবন্দরের এক হোটেলে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাকে যদি বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়, বলছেন তিনি, তাহলে তার জেল হতে পারে। একজন সৌদি নারীকে তার পাসপোর্টে আবেদনের জন্য, বিদেশে যাওয়ার জন্য, সরকারি বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়াশুনার জন্য, বিয়ে করার জন্য, এমনকি কারাগার ছেড়ে যাওয়ার জন্যও তার পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। মারিয়াম আল ওতাইবি বাড়ি ছেড়ে পালানোর পর তাকে ১০০ দিন জেলে আটকে রাখা হয়েছিল। "এটা এমন একটা বিষয় যা প্রত্যেক সৌদি নারী এবং মেয়েকে জন্ম থেকে আমৃত্যু ভোগায়," বলছিলেন মিশরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক মোনা এলতাহাউই, "এর মাধ্যমে নারীকে মূলত একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হিসেবে দেখা হয়।" সৌদি আরব নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সনদে সই করেছে। সৌদি সরকার বলে থাকে শরিয়া আইনে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পারস্য উপসাগরের এই রক্ষণশীল রাজতন্ত্র নারী ও মেয়ে শিশুদের খেলাধুলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি নারীদের স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল খেলা উপভোগেরও অনুমতি দিয়েছে। তবে নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য রোধে কোন আইন না থাকায় এবং সৌদি সরকার বৈষম্যের কোন আইনগত সংজ্ঞা তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সৌদি পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থাকে সমাজ ও দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । এই পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা কোরানের আয়াত থেকে চালু করা হয়েছে বলে বলা হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ২০১৬ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়, "কিছু কিছু ক্ষেত্রে সৌদি আরবে স্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষভাবে অভিভাবকত্ব আইন প্রয়োগ করা হয়।" এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বেশ ক'জন নারীকে বিচার করা হয়েছে এবং জেলে পোরা হয়েছে। বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বেশি কিছু সংষ্কার কর্মসূচি চালু করেছিলেন। আরও পড়তে পারেন: সাতক্ষীরায় মাটির নিচে শত বছরের পুরনো সিন্দুক নির্বাচন পরবর্তী ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কী? ১৩ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব সৌদি মানবাধিকার কর্মী সামার বাদাউই তার বাবার বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ২০০৮ সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং এক আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেন। এরপর বাবার অভিভাবকত্ব বাতিলের জন্য তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। তার বাবাও মেয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করে বলে সামার বাবার অবাধ্য মেয়ে। এক সৌদি আদালত ২০১০ সালে সামার বাদাউইকে কারাদণ্ড দেয় এবং তিনি সাত মাস আটক ছিলেন। সৌদি মানবাধিকার কর্মীরা বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। পিতার অবাধ্যতার অভিযোগে মারিয়াম আল ওতাইবি নামে আরেক সৌদি নারীকেও ২০১৭ সালে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সৌদি নারী অধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা বাতিল করার আবেদন জানিয়ে আসছিলেন। "সৌদি নারীরা পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা চায় না" বলে টুইটারে বড় ধরনের এক আন্দোলন শুরু হয়। এই প্রথা বাতিলের দাবি করে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি বাদশাহর দরবারে ১৪,০০০ স্বাক্ষরসহ এক আবেদন পেশ করা হয়। কিন্তু সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আব্দুলআজিজ আল শেখ ঐ আবেদনপত্রকে 'ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং সৌদি সমাজ ব্যবস্থার ওপর 'মরণ আঘাত' বলে বর্ণনা করেন। তবে পাঁচ মাস পর সৌদি বাদশাহ এক আদেশ জারি করেন যেখানে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকত্ব প্রথার প্রয়োজন হবে না বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে নারীদের গাড়ি ড্রাইভিং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে সৌদি আরবে নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের ধরপাকড় শুরু হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে 'বিদেশি শক্তির সন্দেহজনক যোগাযোগ'সহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়। বিচারে এদের দীর্ঘমেয়াদী সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সরকারপন্থী গণমাধ্যম এদের ইতোমধ্যেই 'বিশ্বাসঘাতক' হিসেবে বর্ণনা করতে শুরু করেছে। | Saudi Arabia drew international plaudits last year when it lifted a longstanding ban on women driving. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ১৫০ দিনের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট নেই কাশ্মীরে গত ১৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কাশ্মীরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে, যেটি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ঘটনা। গত বছরের ৫ই অগাস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার আগে ঐ অঞ্চলের ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ও ল্যান্ডলাইন সেবা বন্ধ করে ভারত সরকার। ইন্টারনেট বন্ধ থাকার বিরুদ্ধে করা আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার রায় দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি এনভি রামানা রায় পড়ার সময় বলেন, "কেবল বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইন্টারনেট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।" ভারতের সংবিধানে বর্ণিত বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তার সাথে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকার অধিকার সম্পৃক্ত বলে মন্তব্য করেন এই বিচারপতি। তিন বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেন যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা 'অনুমোদনযোগ্য নয়' এবং এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা কেবল 'সাময়িক' হতে পারে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকার কারণে কাশ্মীর অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যহত হয়েছে। ঔপনিবেশিক আমলের আইনের ১৪৪ ধারা - যেই ধারা অনুযায়ী এক জায়গায় চার জনের বেশি একত্রিত হতে পারে না - সেই ধারা আরোপ করার সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করার রায় দিয়েছে আদালত। আদালত রায় দিয়েছে যে 'গণতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী বৈধভাবে মতপ্রকাশকে খর্ব করার' জন্য এই ধারার ব্যবহার করা যাবে না। এই ধরণের ধারা আরোপ করে, এমন সিদ্ধান্তও আগামী সাতদিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করার আদেশ দিয়েছে আদালত। অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরকে দু'টি নতুন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে ভারতের সংসদ। ধারণা করা হচ্ছে যে ভারত শাসিত কাশ্মীরের ওপর ভারতের সরকারের নিয়ন্ত্রণ মজবুত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কী? কাশ্মীরের মানুষের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বাতিল ইন্টারনেটের অভাবে কীভাবে ডুবছে কাশ্মীরের অর্থনীতি কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি কাশ্মীর | India's Supreme Court has given the government a week to review its suspension of internet services in Indian-administered Kashmir. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য বিরোধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ এমন সময় এলো যখন উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা একটি চুক্তির জন্য ওয়াশিংটনে চেষ্টা চালানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটি কয়েক মাসের বিরোধের অবসানের কাছাকাছি পৌঁছেছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। চীন এখন বলছে তারা শিগগিরই পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? চীন-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ, জিতবে কে? চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ: সঙ্কটের মুখে চীনা শিল্প? চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ভূমিকা রেখেছিলেন যে গোপন দূত চীন কিভাবে জবাব দিতে পারে? এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের জবাবে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলো চীন। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে যেমন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে তেমনি বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫% শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ওদিকে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য আলোচনাও চলছে। বৃহস্পতিবার মিস্টার ট্রাম্প বলেছেন তিনি চিনা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি চমৎকার চিঠি পেয়েছেন এবং হয়তো ফোনে কথা বলবেন। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন শুক্রবার আলোচনা শুরুর জন্য চীনা ভাইস প্রিমিয়ারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন। চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে ফোনালাপ হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব কেমন হবে? দুশো বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এ বছরের শুরুতেই হওয়ার কথা ছিলো। আলোচনা চলার কারণে সেটা বিলম্বিত হয়েছে তবে মিস্টার ট্রাম্প এখন বলছেন আলোচনার গতি অত্যন্ত ধীর। যদিও মিস্টার ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব কেমন তা কিছুটা এড়িয়ে গেছেন কিন্তু কিছু আমেরিকান কোম্পানি ও ক্রেতাদের জন্য শুল্ক বাড়ানোটা একটা ধাক্কার মতো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এশিয়ান ট্রেড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডেবোরাহ এলমস বলছেন, "এটা অর্থনীতিতে একটা বড় ধাক্কা দিতে যাচ্ছে"। চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বসানোর পর, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছে আলোচনায় কেমন প্রভাব ফেলবে? হোয়াইট হাউজের একজন উপদেষ্টা ক্লিটি উইলেমস বলছেন শুল্ক বাড়ানোটাই শেষ খেলা নয়। তবে তিনি আশা করেছেন দু পক্ষই আলোচনা অব্যাহত রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছিলো বলেও মনে করা হচ্ছিলো। গত ডিসেম্বরে একটি যুদ্ধ বিরতিতে একমত হওয়ার পর এটাই প্রথম আলোচনা ছিলো। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'মেড ইন চায়না টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ' নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের আলোচনায় ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি প্রটেকশনের বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন চীন আলোচনায় আগ্রহী কারণ এ সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব তারা স্বীকার করে। চীন প্রায়শই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষোভের টার্গেট হয়, বিশেষ করে বাণিজ্য বৈষম্য নিয়ে। যদিও চীনে একটি অংশ মনে করে দেশটির উত্থানকে খর্ব করার জন্যই পশ্চিমারা এ বাণিজ্য যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। দু পক্ষই ইতোমধ্যেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক চাপিয়েছে। | The US has ramped up its trade war with China, listing $200bn (£150bn) worth of additional products it plans to place tariffs on as soon as September. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ড. ওয়াতসা বেশ মজা করে যৌন বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দিতেন। ধাত্রীবিদ্যা বিশারদ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মাহিন্দার ওয়াতসা পত্রিকায় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে "আস্ক দ্যা সেক্সপার্ট" বা "যৌন বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করুন" এই শিরোনামে কলাম লিখেছেন। এই কলামে তিনি মজা করে মানুষের যৌন সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্বেগ ও প্রশ্নের উত্তর দিতেন। এসব উত্তর ছিল সহজ ও পরিষ্কার। সঙ্গে কৌতুক মেশানো। মৃত্যুর পর তার সন্তানদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "তিনি এক গৌরবান্বিত জীবন যাপন করেছেন।" তিনি কোন অসুখে ভুগে মারা গেছেন কীনা সেটা পরিষ্কার নয়। ড. ওয়াতসা যৌন উপদেশমূলক এই কলাম লিখতে শুরু করেন ৮০ বছর বয়সে। মুম্বাই মিরর পত্রিকায় তার কলাম ছাপা হতো। তার লেখা জনপ্রিয় হতে খুব একটা সময় লাগেনি। যে দেশে যৌনতার বিষয়ে কথা বলা খুব একটা স্বাভাবিক নয়, সেখানে এবিষয়ে তার দেওয়া উত্তর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। "আমরা এই কলাম চালু করার আগে ভারতের কোন মিডিয়াতে পেনিস (লিঙ্গ) এবং ভ্যাজাইনা (যোনি) এসব শব্দ ব্যবহার করা হতো না," ২০১৪ সালে বিবিসিকে একথা বলেছিলেন পত্রিকাটির সম্পাদক মিস বাঘেল। তিনি বলেন, এই কলাম ছাপার কারণে তার সমালোচনা করে অনেকেই তাকে চিঠি পাঠান। তার বিরুদ্ধে অশালীনতার অভিযোগ এনে মামলাও করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন, এসব সমস্যার চেয়েও এই কলামের উপকারিতা অনেক বেশি। "শুধুমাত্র মিরর পত্রিকাতেই ড. ওয়াৎসা ২০ হাজারের বেশি পাঠকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এই সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি হবে। এছাড়াও আরো অনেকে আছেন যারা ব্যক্তিগতভাবে তাদের যৌন জীবনের বিষয়ে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন," লিখেছেন মিরর পত্রিকার সম্পাদক। ড. ওয়াতসাকে ১৯৬০ এর দশকে নারীদের একটি ম্যাগাজিনের জন্য 'ডিয়ার ডক্টর' বা 'প্রিয় চিকিৎসক' নামে প্রথম একটি কলাম লিখতে বলা হয়েছিল। সেসময় তার বয়স ছিল তিরিশের উপরে। ২০১৪ সালে তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, "আমার তো খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই, আমাকে এটা স্বীকার করতে হবে।" প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি মিরর পত্রিকায় যৌন সমস্যা বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারলেন পাঠকরা তার কাছে যেসব সমস্যার বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন সেগুলো যৌন-শিক্ষার অভাবের কারণেই হচ্ছে। এর পর তিনি এবিষয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথমে তিনি ভারতে পরিবার পরিকল্পনা সমিতি এফপিএআই-এর মাধ্যমে এই কাজটি শুরু করেন। পরে তিনি নিজেই এ সংক্রান্ত একটি প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অফ সেক্স এডুকেশন এন্ড প্যারেন্টহুড ইন্টারন্যাশনাল গড়ে তোলেন। ড. ওয়াতসা ১৯৭৪ সালে যখন পরিবার পরিকল্পনা সমিতির একজন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন তখন তিনি তাদেরকে বোঝান বিভিন্ন যৌন সমস্যার বিষয়ে লোকজনকে পরামর্শ দেওয়া ও যৌন-শিক্ষার বিষয়ে কাজ শুরু করার জন্য। সেসময় ভারতে যৌনতার বিষয়ে কথা বলা খুব একটা সহজ ছিল না। অনেকেই তার পরামর্শকে পর্নোগ্রাফি হিসেবে বিবেচনা করতেন। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য খাতের অনেক পেশাজীবীও মনে করতেন এসব "বিজ্ঞানসম্মত নয়।" তা সত্ত্বেও পরিবার পরিকল্পনা সমিতি তাকে সমর্থন করে এবং ভারতে প্রথমবারের মতো যৌন-শিক্ষা, উপদেশ ও চিকিৎসার জন্য একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে। ড. ওয়াতসা মুম্বাই শহরের একটি মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় তার পিতামাতার পরিচিত একটি যৌথ পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় প্রমীলার সঙ্গে যাকে পরে তিনি বিয়ে করেছেন। তারা কিছুদিন ব্রিটেনেও বসবাস করেছেন। পরে তার পিতা অসুস্থ হলে তিনি ভারতে ফিরে যান এবং গ্ল্যাক্সোতে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেন। সেসময় তিনি ধাত্রীবিদ্যা বিশারদ ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবেও চেম্বারে রোগী দেখতেন। "কখনও কখনও এমন হয়েছে যে সারা রাত ধরে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার কাজ করে পরের দিন আমি অফিসে কাজ করতে গেছি," বলেন তিনি। আরো পড়তে পারেন: যৌন শিক্ষা: বাংলাদেশে কী পড়ানো হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে না বুঝেই যৌন সম্পর্কে জড়াচ্ছে কিশোরীরা, বলছেন শিক্ষক নানা দেশের মানুষের যৌনজীবন: মজার কিছু তথ্য ড. মাহিন্দার ওয়াতসা তিনি সমবেদনা সঙ্গে পাঠকদের প্রশ্নের জবাব দিতেন। তার সঙ্গে তিনি কৌতুকও করতেন। এখানে কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো: প্রশ্ন:দু'দিন আগে আমার বান্ধবীর সঙ্গে অনিরাপদ সঙ্গম করি। গর্ভধারণ ঠেকাতে আমরা আই-পিল (জরুরি গর্ভ-নিরোধক বড়ি) কিনে আনি কিন্তু উত্তেজনা-বশত ওষুধটি তার পরিবর্তে আমি খেয়ে ফেলেছি। এর ফলে আমার কি কোন সমস্যা হতে পারে? উত্তর: পরের বেলায় অনুগ্রহ করে কনডম ব্যবহার করবেন এবং মনে রাখবেন সেটিও যেন গিলে না ফেলেন। প্রশ্ন: আমি শুনেছি যে কোন ধরনের অ্যাসিডিক জিনিস নাকি গর্ভধারণ ঠেকাতে পারে। সঙ্গম করার পর আমি কি আমার বান্ধবীর যোনিতে কয়েক ফোটা লেবু বা কমলালেবুর রস ফেলতে পারি? এজন্য কি তার ক্ষতি হবে? উত্তর: আপনি কি ভেল পুরি বিক্রেতা? এই অদ্ভুত ধারণা আপনি কোথায় পেয়েছেন? জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো অনেক সহজ ও নিরাপদ উপায় আছে। আপনি কনডম ব্যবহারের কথা বিবেচনা করতে পারেন। প্রশ্ন: দিনে চারবার সঙ্গম করার পর পরের দিন আমি দুর্বল বোধ করি। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে আমি কিছু দেখতে পাই না। অনুগ্রহ করে সাহায্য করবেন। উত্তর: আপনি কী আশা করেন? আপনি কি আনন্দে চিৎকার করতে চান এবং বলতে চান যে শহরের মধ্যে আপনি সেরা? প্রশ্ন: আমার লিঙ্গ ছোট এবং আমার বান্ধবীকে আমি সন্তুষ্ট করতে পারি না। একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী পরামর্শ দিয়েছেন আমি যেন প্রতিদিন ওটা নিয়ে ১৫ মিনিট ধরে টানাটানি করি এবং সেসময় মন্ত্র পাঠ করি। এক মাস ধরে এটা করছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমি কী করবো? উত্তর: তার কথা যদি ঠিক হতো তাহলে বেশিরভাগ পুরুষের লিঙ্গ তাদের হাঁটু পর্যন্ত লম্বা হতো। ঈশ্বর কখনো বোকা লোকদের সাহায্য করে না। একজন যৌন বিশেষজ্ঞের কাছে যান যিনি আপনাকে কিভাবে যৌন সম্পর্ক করতে হয় সেবিষয়ে শেখাতে পারবেন। প্রশ্ন: পরিবার থেকে আমার বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি কীভাবে নিশ্চিত হতে পারবো যে মেয়েটি কুমারী? উত্তর: আমি বলবো আপনি বিয়ে করবেন না। যদি না আপনি একজন গোয়েন্দা নিয়োগ করতে পারেন। এটা জানার কোন উপায় নেই। | An Indian sexologist, whose candid newspaper column made him an urban legend of sorts, has died aged 96. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডা. টেডরস আধানম গেব্রেয়াসাস বলেন, ভাইরাসটিকে ঠেকানোর মতো সুযোগ সীমিত বা 'সংকীর্ণ' হয়ে আসছে। শনিবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, করোনাভাইরাসে মৃত্যু এবং নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান এবং অন্য দেশে এই সংখ্যা বাড়ছে। চীনের বাইরে, ২৬টি দেশে কমপক্ষে ১২০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং আট জন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই জন মারা গেছেন। চীনের বাইরে এবং জাপানে কোয়ারেন্টিন করে রাখা একটি প্রমোদতরীর বাইরে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী রয়েছে দেশটিতে। শনিবার, দক্ষিণ কোরিয়া জানায় সেখানে নতুন করে ১৪২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪৬ জনে। ৩২ জন ব্রিটিশ এবং ইউরোপীয় যাত্রী নিয়ে একটি ফ্লাইট জাপান থেকে রওয়ানা করেছে এবং এটি শনিবার ইংল্যান্ডে অবতরণের কথা রয়েছে। শুক্রবার, এএনএসএ সংবাদ সংস্থা বলছে, ইতালির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সী এক জন দেশটিতে মারা গেছে। এর আগে ইতালি ঘোষণা করেছিল যে, দেশটিতে নতুন করে ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত এলাকায় স্কুল এবং অফিস বন্ধ থাকবে এবং খেলাধুলার সব কর্মকাণ্ডও বাতিল করা হয়েছে। চীনে এপর্যন্ত ৭৬,২৮৮ জন আক্রান্ত এবং ২,৩৪৫ জন মারা গেছে। যা গত বছর চীনের হুবেই প্রদেশে আবিষ্কৃত নতুন এই ভাইরাসটি কোভিড-১৯ নামে শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান কী বলেছেন? ডা. টেডরস বলেন, চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা "তুলনামূলকভাবে কম" কিন্তু সংক্রমণের ধরণ উদ্বেগজনক। "যে সব সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রাদুর্ভাবের সাথে কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে না অর্থাৎ প্রাদুর্ভাবের শিকার এলাকায় ভ্রমণ করার কোন উল্লেখ নেই অথবা আগে কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসারও কোন উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে না সেসব সংক্রমণ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে," তিনি বলেন। ইরানে নতুন করে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনা "খুবই উদ্বেগজনক", তিনি বলেন। ইরানের সাথে সীমান্ত পারাপারে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ পরীক্ষা করছে ইরাক। কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন যে চীন এবং অন্য দেশগুলো ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যে ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে এর সাথে "মোকাবেলা করার সুযোগ" তৈরি হয়েছে। এবং নতুন করে যাতে প্রাদুর্ভাব শুরু না হয় তা ঠেকাতে দেশগুলোকে আরো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি কী? শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়ানোর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিউন দেশটিতে গণস্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের দায়েগু এবং চেংডু শহর দুটিকে "বিশেষ পর্যবেক্ষণ এলাকা" ঘোষণা করা হয়েছে। দায়েগু শহরের রাস্তা এখন পুরো ফাঁকা। দেশটির রাজধানী সিউলের কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোতে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন নিয়ম: মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুসানে দুই জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং জেজু আইল্যান্ডে আরো একজন আক্রান্ত হয়েছে- দুই স্থানেই আক্রান্তের ঘটনা এই প্রথম। তিন সেনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার পর সব সামরিক ঘাঁটি অচল বা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাব্য 'হটবেড' বা বিশেষ ক্ষেত্র হিসেবে সনাক্তের পর একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর ৯০০০ সদস্যকে নিজ উদ্যোগে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে যে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবের উৎপত্তি চেংডু শহরে যেখানে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর অনেক সদস্য ৩১শে জানুয়ারি থেকে শুরু করে দোসরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতার ভাইয়ের এক শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। শুক্রবার পর্যন্ত ওই চার্চের ৪০০শরও বেশি সদস্যের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে পরীক্ষা এখনো চলছে বলে জানানো হয়েছে। ইরানের অবস্থা কেমন? ইরানে বেশিরভাগ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে পবিত্র শহর কোমে। এটি শিয়া মুসলিমদের জন্য জনপ্রিয় এলাকা। ইরান জানিয়েছে, কোম এলাকায় শুক্রবার আরো দুই জন মারা গেছে, যা বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া আরো দুই জনের সাথে যোগ হলো। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ১৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইরানের কোম শহর থেকে ফেরার পর এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে লেবানন। লেবাননে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে যা দেশটিতে প্রথম। ওই নারী কোম থেকে বৈরুতে পৌঁছেছেন বলে জানা যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরায়েল এবং মিশরেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে কানাডার কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটিতে যে নয়জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে একজন সম্প্রতি ইরান থেকে ফিরেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইরান এবং লেবাননে করোনাভাইরাস সনাক্ত করার মতো মৌলিক সামর্থ্য রয়েছে এবং আরো সহায়তা দেয়ার জন্য সংস্থাটি দেশ দুটির সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ডা টেডরস বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কারণ ধারণা করা হচ্ছে যে, দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে যেসব দেশে সেসব দেশেই হয়তো ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। চীন এবং অন্যান্য স্থানের কী অবস্থা? ভাইরাস এখন দেশটির কারাগারেও ছড়িয়ে পড়েছে, ৫০০শরও বেশি বন্দী আক্রান্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। উহানে নারীদের একটি কারাগারে ২৩০ জন রোগী রয়েছেন। পূর্বাঞ্চলের শানডং এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ঝেজিয়াং প্রদেশের কারাগারে আরো বন্দী আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালেও ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ১৪ দিনের বেশি কোয়ারেন্টিনে থাকার পর আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ না থাকায় ইয়োকোহামার একটি ক্রুজ জাহাজ থেকে যাত্রীদের নেমে অব্যাহত রাখা হয়েছে। জাপানের উপকূলে কোয়ারেন্টিন জাহাজ থেকে আরোহীদের নামিয়ে আনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যাইহোক, কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজে থাকা ১৮ জন আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানের পর পরীক্ষায় জানা গেছে যে তারা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এর পর আরো প্রায় ৩০০ জন মার্কিন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। জাহাজটি থেকে দেড় শতাধিক অস্ট্রেলীয় নাগরিক এরইমধ্যে ডারউইনে পৌঁছেছেন, যেখানে তারা আরো দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ বলেছে, ডারউইনে পৌঁছানোর পর ছয় জন অসুস্থতা বোধ করায় তাদের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই জনের সংক্রমণ রয়েছে। তবে এর আগে জাপান ছাড়ার আগে করা পরীক্ষায় পাওয়া গিয়েছিল যে, তাদের সংক্রমণ নেই। হংকংয়ে প্রথম ব্যাচ ফিরেছে এবং সেখানেও তাদের একইভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে বলে জানানো হয়। | The head of the World Health Organization (WHO) has expressed concern at the number of coronavirus cases with no clear link to China or other confirmed cases. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | আদালতের রায়ের সমর্থন নিয়ে নারীরা গত ডিসেম্বর মাসেও মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করিছলেন। বুধবার খুব ভোরে পুলিশ পাহারা নিয়ে এই দুই নারী ভগবান আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশ করেন। এর আগেও অবশ্য এরা দুজন মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই দুই নারীর মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের দুজনকে যে পুলিশী নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও জানিয়েছেন তিনি। জানা গেছে এই দুই নারীর একজন পেরিনথালমন্নার বাসিন্দা বিন্দু, অন্যজন কন্নুরের বাসিন্দা কণকদুর্গা। গত মাসেও এই দুজন মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকদের ব্যাপক বাধার মুখে তারা ফিরে আসেন। গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সী নারীরাই প্রবেশ করতে পারবেন। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুরুষ এই মন্দিরের পুজায় অংশ নেন। আরো পড়তে পারেন: নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে বিএনপির তৃণমূলে হতাশা মহাজোটে আছে, মহাজোটেই থাকতে চায় জাতীয় পার্টি বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? কিন্তু এতদিন বেশ কয়েকজন সেই রায় অনুযায়ী মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ভক্তদের বাধায়। বহু মানুষ যুগ যুগ ধরে বিশ্বাস করেন যে ভগবান আয়াপ্পা এক ব্রহ্মচারী দেবতা, তাই ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যে সময়ে ঋতুমতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেই বয়সের নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বিজেপি এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকারের বিরুদ্ধে এবং পরম্পরা বজায় রাখার সমর্থনে জোরদার প্রচার - মিছিল - ধর্মঘট করেছে। বুধবার ভোরে মন্দিরে দুই নারী প্রবেশ করার পরে প্রধান পুরোহিত মন্দির বন্ধ করে দিয়েছিলেন। প্রধান পুরোহিত পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে দুই নারী প্রবেশ করার কারণে মন্দির অপবিত্র হয়ে গেছে, তাই শুদ্ধিকরণ দরকার। পরে অবশ্য মন্দিরের দরজা ফের খোলা হয়েছে। নারীর প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে কেরালার নারীরা প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দীর্ঘ এক মানব বন্ধন তৈরি করেন। | Two Indian women have made history by entering a prominent Hindu shrine in the southern state of Kerala, following months of protests against their entry. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | অনেকে প্রতিবাদ করতে তিন-আঙুলের স্যালুট ব্যবহার করেছেন। পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস ইন্টারনেট অবজারভেটরি বলেছে, সাধারণ পর্যায়ে সংযোগ ১৬ শতাংশে নেমে যাওয়ার মাধ্যমেই এই ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কার্যকর হয়। প্রধান শহর ইয়াঙ্গনে সাধারণ মানুষ "সামরিক একনায়ক, ব্যর্থ, ব্যর্থ; গণতন্ত্র, জয়, জয়" বলে স্লোগান দেয়। পরে পুলিশ দাঙ্গার ঢাল হাতে শহরের কেন্দ্রস্থলের প্রধান সড়কগুলো অবরুদ্ধ করে দেয়। সাধারণ মানুষ যেন কোন বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না পারে এজন্য সামরিক বাহিনী টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। দেশটির সবচাইতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল আগেই। ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে অনেক ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমের উপর থেকে সেনাবাহিনীর এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গিয়েছিলেন, তবে সাধারণ ব্ল্যাকআউট এই ক্ষেত্রেও বড় ধরণের বাধার সৃষ্টি করেছে। নাগরিক সংস্থাগুলো এই ব্ল্যাকআউট আদেশকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইন্টারনেট সরবরাহকারী এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, রয়টার্স সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের এই পদক্ষেপকে "জঘন্য ও বেপরোয়া" বলে আখ্যা দিয়েছে এবং সতর্ক করেছে যে এতে মিয়ানমারবাসীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি হতে পারে। সামরিক বাহিনী এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। আরও পড়তে পারেন: মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঠিক এখন কেন ঘটলো, পরে কী হতে পারে? সেনাবাহিনীর শক্ত নিয়ন্ত্রণ থেকে কেন বের হতে পারছে না মিয়ানমার? মিয়ানমারের অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে কারণে উদ্বেগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভ 'ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য' সমাবেশ শনিবার সকালে, কারখানার শ্রমিক, তরুণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিক্ষোভকারীরা দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি সহ সেনাবাহিনীর দ্বারা আটক অন্যান্য নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানায়। তারা ইয়াঙ্গনের রাস্তায় মিছিল করে যায়, এ সময় সিটি বাস বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে হর্ন বাজায়। পথচারীরাও তিন আঙুল তুলে হাঙ্গার গেমসের স্যালুটটি দেয়। এই স্যালুট কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এছাড়া অনেকেই বাসার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে না হয় হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে বিক্ষোভের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করে। বিবিসির বার্মিজ সম্পাদক সো উইন থান জানিয়েছেন, অনেক মানুষ তাদের জানালায় লাল স্টিকার লাগিয়ে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমাক্রেসি-এনএলডির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। পুলিশ তাদের দাঙ্গার ঢাল দিয়ে সেইসঙ্গে কাঁটাতারের ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ করেছে। এছাড়া সাবধানতা হিসাবে কিছু জায়গায় জল কামান স্থাপন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশ লাইন পার হওয়ার কোনও চেষ্টা না করেই শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছে বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে গোলাপ এবং পানির বোতল দেয় এবং আহ্বান জানায় তারা যেন নতুন সরকারকে নয় বরং সাধারণ মানুষকে সমর্থন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বিক্ষোভকারী বলেছেন যে তিনি অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখলকে কখনোই মেনে নেবেন না। "সামরিক একনায়কতন্ত্রের কারণে, আমাদের অনেকের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে"। তিনি আরও বলেন: "আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে একই পরিণতির মুখোমুখি হতে দিতে পারি না।" ইয়াঙ্গনের কথা বলতে গিয়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত ড্যান চাগ বিবিসিকে বলেছেন যে, রাস্তায় নামা মানুষের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। "গত কয়েক দিনের দুঃখ আর শোক ক্রমশ ক্রোধের দিকে ঝুঁকছে," তিনি আরও বলেন, "চিকিৎসকরা এবং বেসামরিক কর্মচারীরা কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন .. সারা দেশজুড়ে একটা অসুখী ভাব, যা ক্ষোভ জাগিয়ে তুলেছে।" ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারও বন্ধ করা হয় মিয়ানমারে। শনিবার মিয়ানমারের দ্বিতীয় শহর মান্দালে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। শনিবারের বিক্ষোভের পরে সহিংসতার কোন খবর তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। পরে আরও বিক্ষোভ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক কর্তৃপক্ষ রাজধানী নেপিডো দখলে নিলেও এখনও পর্যন্ত তারা বিক্ষোভকারীদের সাথে কোন সংঘাতে যায়নি। ইয়াঙ্গনে বিবিসির নিয়েন চ্যান বলেছেন, বার্মিজরা খুব ভাল করেই জানে যে তাদের সামরিক বাহিনী কতোটা সহিংস পদক্ষেপ নিতে সক্ষম। ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশটিকে এই নিপীড়ক সামরিক সরকার শাসন করেছে। তবে এখন মানুষ বুঝতে পারছে যে কী ঘটছে, তারা তাদের দাবি জানাতে বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করছে, বিবিসির এই সংবাদদাতা বলেছেন। মিজ সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন। পুলিশের নথিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি রাজধানী নেপিডোতে নিজ বাড়িতে অবৈধভাবে বিভিন্ন যোগাযোগ সরঞ্জাম - ওয়াকিটকি - আমদানি ও ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতা দখলের পরে রাস্তায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে অভ্যুত্থানে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমের ভূমিকা নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি দলের ভূমিধ্বস বিজয়ের পরে পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন শুরুর আগেই এই অভ্যুত্থান হয়। অনেক বার্মিজ এই ঘটনা ফেসবুকের রিয়েল টাইমে দেখেছে, যা দেশটির তথ্য এবং সংবাদের প্রাথমিক উৎস। কিন্তু এর তিন দিন পরে, ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কারণ দেখিয়ে এই ফেসবুক ব্লক করার আদেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায়, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের হাজার হাজার ব্যবহারকারী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে এই প্ল্যাটফর্মগুলোতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই অভ্যুত্থানের ব্যাপারে কোন নেতা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন বক্তব্য দেননি। তবে এএফপি জানিয়েছে যে তারা মন্ত্রণালয়ের একটি নথি পেয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে দুটি সামাজিক মাধ্যমের সাইট "সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে"। যদিও নথিটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। টুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জনসাধারণের কথা বলা এবং মানুষের দাবি জানানোর অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ফেসবুক মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামের এই কর্তৃপক্ষকে "সংযোগ পুনরুদ্ধার" করতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এক নজরে মিয়ানমার মায়ানমার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পাঁচ কোটি ৪০ লাখ মানুষের দেশ, যা বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক নিন্দা ও নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশটির নিপীড়ক সামরিক সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শাসনে করে গেছে। বুধবার ইয়াঙ্গনের বাসিন্দারা রান্নার হাঁড়ি বাজিয়ে প্রতিবাদ করেছে। অং সান সু চি বছরের পর বছর গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য প্রচারণা চালিয়ে গেছেন। ধীরে ধীরে ২০১০ সালের দিকে উদারপন্থার দিকে এগোতে শুরু করে মিয়ানমার। যদিও সামরিক বাহিনী এখনও যথেষ্ট প্রভাব বজায় রেখেছে। ২০১৫ সালের অবাধ নির্বাচনের পরে মিজ সু চির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু এর দুই বছর পরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সামরিক বাহিনী ভয়াবহ নির্যাতন চালায়। যার কারণে ওই বছর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। মিজ সু চি সামরিক বাহিনীর ওই তৎপরতায় কোন নিন্দা না জানানোয় এবং যে জাতিগত নির্মূলীকরণ হিসেবে ব্যাখ্যা না দেয়ায় তার ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়। মিজ সু চির আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে যে সমর্থক রয়েছে, তাদের সাথেও তার বিভেদ সৃষ্টি হয়। তবে নভেম্বরের নির্বাচনে নিজ দলের ভূমিধ্বস জয় কারণে তিনি দেশের ভেতরে এখনও ব্যাপক জনপ্রিয়। | Myanmar's military rulers have shut down the country's internet as thousands of people joined the largest rally yet against Monday's coup. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক বরখাস্ত হওয়াদের তালিকায় এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার দেশটির ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের বর্তমান প্রধান ক্রিস্টোফার মিলার শিগগিরই মিস্টার এসপারের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। মার্ক এসপারকে বরখাস্তের পরপরই মিস্টার মিলারকে প্রতিরক্ষা সদর দফতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। অগাস্টে কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের দায়িত্ব নেয়ার আগে মিস্টার মিলার স্পেশাল ফোর্সের সাবেক সৈন্য হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কাজ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বরখাস্ত হওয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যেই বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: কেন বরখাস্ত হলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল 'মেয়েদের দেহে স্পর্শ দোষের কিছু না, এটা ট্রাম্প বলেছেন' এবার ‘চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট’ ব্যাননকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী হোপ হিকস কে? ক্রিস্টোফার মিলার তবে মার্ক এসপার ইতোমধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন যেখানে গত ১৮ মাসের দায়িত্ব পালনকালে পেন্টাগনের অর্জনের জন্য তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। "আমি সংবিধান অনুযায়ী দেশ সেবা করেছি এবং সে কারণেই আমি আমাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছি," পদত্যাগপত্রে লিখেছেন তিনি। তবে শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পেলসি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করে নেননি বরং আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। মিস্টার বাইডেন আগামী ২০শে জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ট্রাম্প -এসপার বিরোধের কারণ চলতি বছরের শুরুতে বর্ণবাদ বিরোধী প্রতিবাদে সেনা মোতায়েন নিয়ে হোয়াইট হাউজের সাথে বিরোধে জড়ান মার্ক এসপার। মিনেসোটায় পুলিশের হাতে নির্যাতিত হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের মারা যাওয়ার পর গড়ে ওঠা আন্দোলনের সময় বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছিলেন মিস্টার ট্রাম্প। সাবেক সেনা কর্মকর্তা মার্ক এসপার গত জুনে এটিকে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছিলেন যা হোয়াইট হাউজকে অসন্তুষ্ট করেছিলো। এ মত বিরোধের জের ধরে মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করা হতে পারে ধারণা গড়ে ওঠেছিলো। মিস্টার এসপার ন্যাটোর প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গীর সাথেও একমত ছিলেননা। | President Donald Trump has sacked Defence Secretary Mark Esper, announcing on Twitter that the top US official has been "terminated". |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কিম জং-আনকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। কিম ইল-সাং ১৯৪৮ সালে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর থেকে এই পরিবারেরই কোন না কোন পুরুষ সদস্য দেশটির দায়িত্বে আছেন। এই পরিবারকে ঘিরে যেসব জনশ্রুতি, তা উত্তর কোরিয়ার সমাজের সর্বস্তরে গভীরভাবে প্রোথিত। উত্তর কোরিয়ার এই পরিবারটি কত মহান সে সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা আর মগজ ধোলাই শুরু হয় শিশুরা পড়তে শুরু করতে পারার আগেই। স্কুলে যাওয়া শুরু করার আগেই শিশুরা গান গাইতে শুরু করে: “আমি আমাদের নেতা কিম জং-আনকে দেখতে চাই।” উত্তর কোরিয়া ক্ষমতার শীর্ষে এরকম কোন প্রতীকি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া দেশটিকে কি কল্পনা করা সম্ভব? দেশটির ক্ষমতাবান অভিজাত শ্রেণি কীভাবে নিজেদেরকে সংগঠিত রাখে এবং পুরো সমাজকে পরিচালিত করে? এর সহজ উত্তর হচ্ছে: আমরা জানি না। আরো মজা করে বলতে গেলে, তারাও আসলে জানে না। কারণ তাদের এই কাজটা কখনোই করতে হয়নি। উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বে সবসময়ই ছিল একজন কিম.... কিম জং-আন যখন ক্ষমতা গ্রহণের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন, তখন তার শাসনকে বৈধতা দেয়ার জন্য উত্তর কোরিয়ায় ‘পেকটু ব্লাডলাইন’ বলে একটা কথা চালু হয়। ‘পেকটু পর্বতমালাকে’ ঘিরে উত্তর কোরিয়ার অনেক পৌরাণিক গল্পগাঁথা চালু করা হয়েছে। বলা হয়ে থাকে দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং এই পর্বতমালা থেকে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়েছিলেন। কিম জং-ইলের জন্ম নাকি সেখানে। কিম জং-আন এখনো সেখানে যান যখন তিনি কোন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটির গুরুত্ব মানুষের কাছে তুলে ধরতে চান। উত্তর কোরিয়া নামের রাষ্ট্রটি পরিচালিত হয় যে রাজনৈতিক আদর্শের ওপর ভিত্তি করে, তার কেন্দ্রে সব সময় ছিল কোন না কোন একজন কিম। কিন্তু এরকম একজন উত্তরাধিকারীর অনুপস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার অবস্থা কেমন হবে? ধারণা করা হয় কিম জং-আনের তিন সন্তান, কিন্তু তাদের বয়স একেবারেই কম। সবচেয়ে বড়জনের বয়স দশ, আর একেবারে ছোটটির বয়স তিন বছর। কিম জং-আন নিজে যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছর। এরকম সম্ভাবনা হয়তো আছে যে এক ধরণের যৌথ নেতৃত্ব তার শূণ্যতা পূরণ করতে পারে, যেমনটি ঘটেছে ভিয়েতনামে। এই যৌথ নেতৃত্ব নিজেদের বৈধতা অর্জনের জন্য কমিউনিস্ট বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতাদের আদর্শ এবং নীতির দিকেই বেশি করে ঝুঁকবে। উত্তর কোরিয়ার ঘটনাবলী যারা পর্যবেক্ষণ করেন, তারা হয়তো বলতে পারেন দেশটিতে কারা গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে অধিষ্ঠিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলো সম্পর্কে নানা সূত্র থেকে গোয়েন্দা তথ্যও হয়তো জানতে পারেন। কিন্তু তাদের পক্ষে আসলে বলা সম্ভব নয় সেখানে নেতৃত্ব দখলের জন্য কী ধরনের উপদল তৈরি হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কে বেশি ক্ষমতাশালী। অনেক সময় দেখা যায় কোন প্রতিষ্ঠানের যিনি আলংকারিক প্রধান, তার তুলনায় উপ প্রধান বা উপ পরিচালক হয়তো বেশি ক্ষমতাশালী। সুতরাং উত্তর কোরিয়ায় কোন কিছু সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা আসলেই খুবই কঠিন কাজ। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন কোথায়? "আমার নামও কিম জং আন" - দক্ষিণ কোরিয়ার তিন 'কিম' উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং এবং তার ছেল কিম জং-ইল অবশিষ্ট তিন ‘কিম’ যদি কিম জং-আন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে যান তখন তার সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে তিনজন ‘কিম’ দৃশ্যপটে আসতে পারেন। তবে পারিবারিক শাসন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের তিনজনেরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। প্রথম আসে কিম ইয়ো-জং এর কথা। তিনি হচ্ছেন কিম জং-আনের সবচেয়ে ছোট বোন। বলা হয়ে থাকে তিনি তার বাবার খুবই প্রিয় পাত্রী ছিলেন। তার ডেঁপোমি আর রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহের কারণে খুবই অল্প বয়স থেকেই তিনি তার বাবা কিম জং-ইলের প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন। কিম ইয়ো-জং বেশ মার্জিত, নম্র এবং সুশৃঙ্খল। তিনি যে তার ভাই কিম জং-আনের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ, সেটা নিয়ে অনেক কিছুই বলা হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুরে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং কিম জং-আনের শীর্ষ বৈঠক হয়, তখন চুক্তি সই করার জন্য পাশ থেকে কলম এগিয়ে দিতে দেখা গেছে তাকে। হ্যানয়ে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের সময়ও তার উপস্থিতি পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি এড়ায়নি। তার ভাই যখন রাষ্ট্রনায়কোচিত ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন, তখন দেখা গেল পেছনে উঁকি দিচ্ছেন ছোট বোন কিম ইয়ো-জং। কিন্তু হ্যানয়ের এই শীর্ষ বৈঠকের ব্যর্থতার পর সাময়িক পদাবনতি থেকে নাকি তারও রেহাই মেলেনি। তবে এই খবরটি আসলে কখনোই নিশ্চিত করা যায়নি। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নীতিনির্ধারণী সংস্থা, স্টেট এফেয়ার্স কমিশনের সদস্য নন তিনি। তবে কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর একজন বিকল্প সদস্য এবং প্রোপাগান্ডা এন্ড এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের (পিএডি) ভাইস ডিরেক্টর। উত্তর কোরিয়ার এই পিএডি খুবই ক্ষমতাধর সংস্থা । এরা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের আদর্শগত আনুগত্য নিশ্চিত করে। কিন্তু কিম ইয়ো-জং তো একজন নারী। উত্তর কোরিয়ার মতো সাংঘাতিক রকমের পুরুষতান্ত্রিক একটি দেশে তিনি ক্ষমতার শীর্ষে অধিষ্ঠিত হবেন এটা কল্পনা করা বেশ কঠিন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রযন্ত্রে চরম পুরুষ প্রাধান্য। সেখানে নারী বা পুরুষ কার কী ভূমিকা, কার কাছে কী প্রত্যাশা- তা তাদের লিঙ্গ অনুযায়ী নির্ধারিত। এরকম একটি রক্ষণশীল সমাজে তিনি রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতা হবেন,সামরিক বাহিনীকে পরিচালনা করবেন, তা নারীর কাছে প্রত্যাশিত দায়িত্ব-কর্তব্যের সঙ্গে যায় না। দ্বিতীয় যে কিমের কথা শোনা যায় তার পুরো নাম কিম জং-চাওল। তিনি কিম জং-আনের বড় ভাই। তাকে কখনোই রাজনীতি বা রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে আগ্রহী বলে মনে হয়নি। (শোনা যায় তাঁর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে সঙ্গীতশিল্পী এরিক ক্ল্যাপটনের ব্যাপারে)। তিনি বড়জোর কিম পরিবারের একটি প্রতীকি সংযোগের কাজ করতে পারেন। হয়তো তাকে কোন একটি ফাউন্ডেশনের প্রধান করা হতে পারে এবং মাঝে মধ্যে হয়তো তাকে দিয়ে কোন একটা বক্তৃতা পড়ে শোনানো হতে পারে। তৃতীয় যার কথা শোনা যাচ্ছে তিনি হচ্ছেন কিম পিয়ং-ইল। তিনি কিম জং-ইলের একজন সৎ ভাই। কিম ইল-সাং মারা যাওয়ার পর কিম পিয়ং-ইল হবেন উত্তরাধিকারী, এটাই ছিল তার মায়ের ইচ্ছে। কিন্তু তার এই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। কিম জং-ইল প্রভাবশালী হয়ে ওঠার পর তার সৎ মাকে কার্যত ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে দূরে সরিয়ে দেন। কিম পিয়ং-ইলকে ১৯৭৯ সালে ইউরোপে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তিনি বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন এবং মাত্র গত বছর তিনি উত্তর কোরিয়ায় ফিরে এসেছেন। এ কারণে পিয়ংইয়ংয়ের রাজনীতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মতো নেটওয়ার্ক তার আছে বলে মনে করা হয়। এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি কে কিং জং-আনের শাসনামলে উত্তর কোরিয়ায় আরো অনেকে আছেন যারা বেশ ক্ষমতাবান এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটা বলা বেশ কঠিন তাদের মধ্যে কে বা কারা সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলবেন এবং কারা কারা ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হবেন। গুরুত্বপূর্ণ একজন হচ্ছেন চু রায়ং-হে। কিম জং-আনের সঙ্গে তার সম্পর্কে অনেক উত্থান পতন আছে। কিন্তু অনেক ঝড় ঝাপটা সামলে তিনি এখন পলিটব্যুরোর প্রেসিডিয়ামের প্রেসিডেন্ট এবং একই সঙ্গে স্টেট এফেয়ার্স কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। গত বছর তিনি বিশ বছরের মধ্যে তিনি প্রথম এরকম দায়িত্ব পেয়েছেন তার পূর্বসুরী কিম ইয়ং-নামকে সরিয়ে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনিই তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিম ইয়ো-জং কি হতে পারেন উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতার শীর্ষে প্রথম নারী? চু রায়ং-হে সামরিক বাহিনির অনেক উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির অর্গানাইজেশন এন্ড গাইডেন্স ডিপার্টমেন্টে (ওজিডি) কাজ করেছেন। এদের কাজ হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শাসক গোষ্ঠীর পক্ষে আনুগত্য বজায় রাখা। এটি খুবই শক্তিশালী একটি সংগঠন: উত্তর কোরিয়ায় সবাই যেন রাষ্ট্রীয় আদর্শ মেনে চলে সেটি নিশ্চিত করা এদের কাজ। চু রায়ং-হে সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যক্তি। স্পাই মাস্টার বনাম উদীয়মান ক্ষমতাবানরা আরেকজন হচ্ছেন কিম ইয়ং-চোল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং-আনের শীর্ষ বৈঠকের পথ নাকি তিনিই তৈরি করেছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা সাক্ষাৎ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক রক্ষা করে যে সরকারি দফতর, সেই ইউনাইটেড ফ্রন্ট ডিপার্টমেন্টেরও প্রধান ছিলেন। উত্তর কোরিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা যখন ভেঙ্গে গেল তখন তার পদাবনতি ঘটে। কিন্তু এই স্পাই মাস্টার খুব বেশি সময় যে আড়ালে থাকবেন সেটার সম্ভাবনা কম। এখানেই শেষ নয়, আরও এক কিমের নাম শোনা যাচ্ছে, তিনি হচ্ছেন কিম জে-রিয়ং। তিনি স্টেট এফেয়ার্স কমিশনের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী। এটি মোটামুটি প্রভাবশালী একটি পদ। তার সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তবে গত বছর যখন অন্যদের ভাগ্য খারাপ যাচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল যেন তার ভাগ্য খুলে গেছে। উত্তর কোরিয়ার সবচাইতে বিচ্ছিন্ন প্রদেশগুলোর পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তার। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শিল্প স্থাপনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এর মানে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনার ক্ষেত্রে তার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও হয়তো ছিল। জং পিয়ং-টেক আরেকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। উত্তর কোরিয়ার স্টেট সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। উত্তর কোরিয়ায় রাজনৈতিক অপরাধের তদন্ত এবং সাজা দেয়া এদের কাজ। রাজনৈতিক নেতৃত্বের শারীরিক নিরাপত্তার দেখাশোনার দায়িত্বও তাদের। এগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, কারণ পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এর ওপর নির্ভর করে। হোয়াং পিয়ং-সো হচ্ছেন আরেক জন কর্মকর্তা যিনি শীর্ষ সামরিক দায়িত্বে ছিলেন। চালিয়েছেন অর্গানাইজেশন এন্ড গাইডেন্স ডিপার্টমেন্টের (ওজিডি) মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর। তবে অন্য অনেকর মতো তিনিও পদাবনতির শিকার হয়েছেন। সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেলরা কোরিয়ান পিপলস আর্মিতে কয়েকজন হাতেগোনা শীর্ষ জেনারেল রয়েছেন যারা ক্ষমতার পালাবদলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। কোরিয়ান পিপলস আর্মির পলিটব্যুরোতে এই মুহূর্তে দুটি শীর্ষ পদে আছেন দুজন জেনারেল। এরা হচ্ছেন কিম সু-গিল এবং কিম ওয়ান-হোং। এই ব্যুরোর দায়িত্ব হচ্ছে সামরিক বাহিনীতে রাজনৈতিক আনুগত্য বজায় রাখা। দেশে যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় তাদের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই দুজনের মধ্যে নাকি দ্বন্দ্ব আছে। তারা দুজনেই কিম জং-আনের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত। ক্ষমতাবান এই ব্যক্তিদের মধ্যে কে কার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবে আর কে কার মিত্র হবে? উত্তর কোরিয়ায় কি কিম ইয়ো-জং এর পক্ষে এবং বিপক্ষে দুটি শিবির তৈরি হতে পারে? অথবা অস্থিতিশীলতার আশংকায় এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কী থেমে যেতে পারে? কারণ ক্ষমতাবানরা কেউই চাইবেন না তাদের পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধসে যাক, যার সুযোগ নিতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া বা এমনকী চীন। তবে এখনো পর্যন্ত কিম জং-আনের কোন নিখুঁত উত্তরসুরী নেই। তার বোন যদি দায়িত্ব নিতে চান তাকে লিঙ্গ বৈষম্যের প্রাচীর টপকাতে হবে। ভাঙ্গতে হবে পুরুষকেই উত্তরাধিকারি করার যে চিরাচরিত প্রথা, সেটি। অন্য যাদের কথা বলা হচ্ছে, তাদের কেউই সরাসরি অতি গুরুত্বপূর্ণ ‘পেকটু ব্লাডলাইনের’ কেউ নন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ভাবতে হবে তাদের রাষ্ট্রের ঐক্যের কথা, যেটি সব আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ভেঙ্গে এ পর্যন্ত বারে বারে টিকে গেছে। | Speculation and rumour about Kim Jong-un's health may amount to nothing, but questions about who might succeed him in the short or long term will always be there. The BBC spoke to analysts about the contenders and whether history is on their side. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | একদিন আগে নাকচ করে দিলেও এখন রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি বলছেন, সোমবারের বক্তব্যে তিনি ভুল বলেছিলেন। আসলে তিনি বলতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া ওই নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছে, সেটা মনে না করার কোন কারণ নেই। সর্বশেষ বক্তব্যে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর তার পূর্ব বিশ্বাস ও সমর্থন রয়েছে। যদিও তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের নিন্দা জানাবেন কিনা, সেই প্রশ্নের কোন জবাব দেননি মি. ট্রাম্প। তখন তিনি কি বলেছিলেন? ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর একজন সাংবাদিক জানতে চান, ''২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে কোন ধরণের ভূমিকা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। যদিও সব মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে যে, রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। আপনি কাকে বিশ্বাস করেন?'' তার উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ''আমার লোকজন আমার কাছে এসেছিল, তারা বলেছে, তারা মনে করে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন, এটা রাশিয়ার কাজ নয়। আমি বলবো, আমি এমন কোন কারণ দেখতে পাই না যে, তারা কেন এটা করবে।'' সোমবার হেলসিঙ্কিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি বৈঠকে মিলিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনি এখন কি বলছেন? মি. ট্রাম্প বলছেন তিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা পর্যালোচনা করে দেখেছেন এবং একটি ব্যাখ্যা দেয়া দরকার বলে মনে করেন। ''আমার বক্তব্যে একটি প্রধান বাক্যে আমি বলেছিলাম, তারা (রাশিয়া) কেন এটা করবে? আসলে সেটা হওয়ার কথা, তারা কেন করবে না?'' ''বাক্যটা হওয়ার কথা এমন, আমি এমন কোন কারণ দেখতে পাই না, কেন এটা রাশিয়া হবে না?'' বলছেন মি. ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো যোগ করেন, ''আমাদের গোয়েন্দারা যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন যে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে, সেই সিদ্ধান্ত আমি গ্রহণ করেছি। হয়তো আরো অনেকেই করেছে, করার মতো আরো অনেকেই রয়েছে।'' যদিও ওই হস্তক্ষেপে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়েনি বলেও বলছেন মি. ট্রাম্প। কেন এতো সমালোচনা? সোমবারের ওই সামিটের পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট, উভয় পক্ষই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, নিজের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে মি. ট্রাম্প রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক আইন প্রণেতা আরো আহত হয়েছেন এই কারণে যে, রাশিয়া এবং মি. পুতিনের বিষয়ে নির্দিষ্ট সমালোচনা করতে রাজি হননি মি. ট্রাম্প। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ভুলের কথা বলছেন, কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। হোয়াইট হাউজ এখন যতই বিবৃতি দিক না কেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে দাড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি আটকে গিয়েছিলেন। কোন ব্যাখ্যাই সেটা আর পাল্টাতে পারবে না। আরো পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে এত ঝামেলা বেধেছে কেন? ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক: কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা 'মার্কিন নির্বাচনে হ্যাকিং-এর চেষ্টা করেছিলো রাশিয়া' | US President Donald Trump has said he accepts US intelligence agencies' conclusion that Russia interfered in the 2016 election - despite declining to do so just a day ago. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | একইসাথে মুম্বাইয়ের একটি কলেজে শিক্ষার্থীদের কি ধরনের পোশাক পরতে হবে কর্তৃপক্ষ তার একটি নিয়ম বা ‘ড্রেস কোড’ বেঁধে দিয়েছে। ফ্যাশন ইতিহাসবিদ এবং ব্লগার টুলিকা গুপ্তা ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতীয় নারীরা কি ধরনের পোশাক পরতেন সেদিকে ফিরে তাকিয়েছেন। তিনি বলছেন, যৌনতা বা কামের বিষয়ে প্রত্যেকটা দেশেরই নিজস্ব একটা ধরণ আছে। বহু ভারতীয় যে ধরনের পোশাককে আজকাল শালীন বলে মনে করে সেগুলো মূলত ব্রিটিশরাই তৈরি করেছে। শুরুতে নারীরা ছিলেন স্বল্পবসনা। ছিলো শুধু দুই টুকরা কাপড়। তখন নারীরা অল্প কিছু কাপড় পরতো। মৌর্য এবং সুঙ্গ যুগে (৩০০খৃস্টাব্দ) নারী ও পুরুষেরা চারকোনা কাপড় পরতো। শরীরের নিচের দিকে কাপড়কে বলতো অন্তরীয় এর উপরের অংশকে উত্তরীয়। শালীন পোশাক বলতে তখন একটা ভিন্ন অর্থ ছিলো। শুধু মুখ আর শরীর ঢেকে রাখার মধ্যেই তা সীমিত ছিলো না। ভারতের উষ্ণ আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই মানুষ কাপড় পরতো। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ একেক রকমের কাপড় পরতো। দক্ষিণ ভারতে, এমনকি ঔপনিবেশিক আমলেও, কোনো কোনো নারী তাদের শরীরের ওপরের অংশ ঢেকে রাখতো না। তারপর পোশাক আশাকে গ্রিক, রোমান, আরব এবং চীনা প্রভাব পড়তে শুরু করলো। ১৫শ শতাব্দীতে হিন্দু মুসলিম নারীরা আলাদা রকমের পোশাক পরতো। কি ধরনের কাপড় পরতে হবে তার লিখিত কোনো নির্দেশনা ছিলো না। তবে মুসলিম নারীরা সাধারণত নিজেদেরকে ঢেকে রাখতো। সেজন্যে তারা আলাদা আলাদা কয়েকটি কাপড় পরতো যেখানে থেকে সালওয়ার কামিজের জন্ম। কিন্তু ভিক্টোরিয়ার আমলে, বিশেষ করে বাংলায়, যখন কোনো কোনো নারী তাদের শাড়ির নিচে ছোট্ট ব্লাউজ পরতো না, তখন তাদের বক্ষ উন্মুক্ত থাকতো। কিন্তু সেটা ভিক্টোরিয়ান সমাজের সাথে যুৎসই ছিলো না। তখন ব্লাউজের প্রচলন শুরু হলো। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জনদানন্দিনী দেবী আজকে যেভাবে ব্লাউজ পরা হয় তার ধারণা তৈরি করেন, কারণ শাড়ির নিচে নগ্ন বক্ষের কারণে তাকে ব্রিটিশ রাজের আমলে তাকে ক্লাবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভিক্টোরিয়ানরা চাইতো নারীরা ব্লাউজ পরুক। সেখান থেকেই আজকের ব্লাউজ ও পেটিকোটের সূচনা। ভারতীয় নারীদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে রাখা। কিন্তু তার নিচে কি আছে সেটা কোনো বিষয় নয়। তারপর সময়ের সাথে ব্রিটিশ প্রভাব বাড়তে লাগলো। চালু হলো নানা ধরনের ব্লাউজের চল। কি ধরনের পোশাক পরতে হবে তার জন্যে ভারতে লিখিত কোনো কোড নেই। যে পোশাক আরামদায়ক আর শালীন সেটাই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় নারীরা কি পরবে না পরবে সে বিষয়ে আজ অনেক বেশি স্বাধীন। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। কিন্তু এখনও নারীর জন্যে ড্রেস কোড দেওয়া হচ্ছে এবং যা পরেছে তার জন্যে তাকে হামলারও শিকার হতে হচ্ছে। কারো কারো কাছে এটা নাকি ধর্ষণেরও কারণ। কিন্তু তারা বোঝে না যে শালীনতার ধারণায় সবসময়ই পরিবর্তন ঘটছে। | This week in India a man slapped actress Gauhar Khan on a TV set for wearing a "short dress" and news emerged of outrage in a Mumbai law college at a strict dress code imposed on students. Fashion historian Toolika Gupta looks at ideas of decorum in fashion across India through the ages. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রতীকের অংশ ক্যাঙ্গারু। আর এ কারণে অস্ট্রেলিয়ানদের বেশি করে ক্যাঙ্গারুর মাংস খাবার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২০১৬ সালে ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫০ লক্ষ, যা দেশটির মানুষের সংখ্যার দ্বিগুণ। ২০১০ সালে ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭০ লক্ষ, যা ছয় বছরে অনেক বেড়েছে। আর বলা হচ্ছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে খাদ্য উৎপাদনও হয়েছে প্রচুর এবং এ কারণে উল্লেখযোগ্য হারে ক্যাঙ্গারুর বংশবৃ্দ্ধি হয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে খরা পরিস্থিতি তৈরি হলে লক্ষ লক্ষ ক্যাঙ্গারু মারা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অস্ট্রেলিয়ায় পশু শিকার নিয়ে কঠোর আইন রয়েছে। পশু শিকারের বিধিনিষেধ নিয়ে প্রত্যেকটি রাজ্যে নিজস্ব আইন ও কোটা রয়েছে। ব্যবসার জন্য লাইসেন্সতো রয়েছে এবং বাণিজ্যিকভাবে পশু শিকার ও বিক্রির বিষয়টিও কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে যেন স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশুর মাংস ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও বাড়ছে না কারণ সেখানে এর চাহিদা তেমন নেই এবং এজন্য এর বাণিজ্যিক মূল্যও কম। প্রতি বছর মাংস সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়। কারণ বিরোধীদের অনেকের মতে, ক্যাঙ্গারুর সংখ্যা কমলে যে পরিবেশের উন্নতি হবেএমন কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। জবাই করা ক্যাঙ্গারুর চামড়া বিক্রি হলেও এবং এগুলো রপ্তানি করা হলেও, মাংস বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যায়। কারণ এই পশুর মাংসের চাহিদা অনেক কম। আর এর অন্যতম কারণ হলো, ক্যাঙ্গারু অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু, আর জাতীয় পশুর মাংস খাওয়াটা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যারা ক্যাঙ্গারুর মাংস খেতে নাগরিকদের উৎসাহিত করছেন তারা বলছেন, অন্য সব প্রাণীর তুলনায় ক্যাঙ্গারুর কম পরিমাণে মিথেন উৎপন্ন করে এবং তাই এই মাংসে 'ফ্যাট' কম। তাছাড়া এটি পরিবেশবান্ধব প্রাণী। ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেডের অধ্যাপক ড্যাভিড প্যাটন এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "ক্যাঙ্গারু জবাই করা ও এর মাংস খাওয়ার বিষয়টির প্রতি মানুষের সমর্থন প্রয়োজন। দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং এই প্রাণীটি 'পচে যাওয়া' রোধ করতে এটি প্রয়োজন"। "ক্যাঙ্গারু যে এত বেড়ে গেছে এটা তাদের কারণে নয়, আমরা আসলে ক্যাঙ্গারুর ওপর ছুরি চালানোর বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিলাম। তাদের বধ করবো, খাবো এটা আমরা ভাবতে পারতাম না। আর এ কারণে প্রাণীটি অন্যভাবে ধ্বংস হয়ে যাবার মুখে পড়েছে"। "আমরা যদি ক্যাঙ্গারু জবাই করে এর মাংসের ব্যবসা করি তাহলে সেটা মানবিকই হবে, তবে আমাদের এও ভাবতে হবে ক্যাঙ্গারুর মাংস ও চামড়াসহ অন্যান্য অংশগুলো কিভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে"-বলেন এই অধ্যাপক। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার আবাসিক এলাকাগুলোতে এভাবে ক্যাঙ্গারুর চলাফেরার চিত্র খুবই স্বাভাবিক। | Landholders and ecologists in Australia are warning wild kangaroo levels have become unsustainable, urging Australians to eat more kangaroo meat. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | যুক্তরাজ্যে আঠার বছরের কম বয়েসী শিশুদের কাছে এনার্জি ড্রিংক বিক্রি নিষিদ্ধ হতে পারে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর-এমন উদ্বেগের মধ্যেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। শিশুদের কাছে এনার্জি ড্রিংকস বিক্রি অবৈধ ঘোষণার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকার এজন্য একটি গণ আলোচনার (পাবলিক কনসালটেশন) সূচনা করেছে। কোন বয়স থেকে এটি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত সে বিষয়ে মতামতও চাওয়া হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। এ বিষয়ে দুটি বিকল্পও দেয়া হয়েছে- একটি হলো ১৬ বছর, অন্যটি ১৮। স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস নিজেরাই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে পারে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামী আটটি খাবারে কী আছে 'পরিমিত' মদ্যপান কি আসলেই নিরাপদ? কাশির চিকিৎসায় আর নয় অ্যান্টিবায়োটিক যে আটটি উপায়ে আপনি বাড়তে পারেন মগজের শক্তি এতো উদ্বেগের কারণ কি? গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের মধ্যে যুক্তরাজ্যের শিশু বা তরুণরাই বেশি এনার্জি ড্রিংকস পান করে থাকে। এসব পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার মাত্রা প্রায়শই দেখা যায় কোমল পানীয়তে থাকা এ ধরনের উপাদানের চেয়ে বেশী। ফলে এ পানীয় বেশী মাত্রায় পান করলে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ এ থেকে স্থূলতা, দাঁতের ক্ষয় রোগ, মাথাব্যথা ও ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্থূলতাসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয় শিশুরা শিক্ষক সংগঠনের জরিপ থেকে দেখা যায় যেসব শিশুরা বেশি এনার্জি ড্রিংকস পান করে শ্রেণীকক্ষে তাদের আচরণ তুলনামূলক খারাপ। এসব কারণেই প্রতি লিটারে ১৫০ মি.গ্রা. এর বেশি ক্যাফেইন আছেন এমন পানীয়র ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হতে পারে। অনেক দোকান ইতোমধ্যেই নিজেরাই ১৬ বছরের কম বয়সীদের কাছে এ ধরণের পানীয় বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে শিশুরা চাইলে খুচরা বিক্রেতা ও ভেন্ডিং মেশিন থেকে কিনতে পারে। দেশটির জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভ ব্রাইন বলেছেন, "স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ওপর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন কিছু থেকে শিশুদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী থেরেজা মে শিশুদের স্থূলতাকে দেশের একটি বড় স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। "শিশুদের জন্য সবচেয়ে ভালোভাবে তাদের জীবন শুরুর জন্য আমরা কি করতে পারি সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমি সবাইকে তাদের মতামত দেয়ার জন্য উৎসাহিত করছি"। অনেক দোকান ইতোমধ্যেই শিশুদের কাছে এনার্জি ড্রিংকস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে কি থাকে এনার্জি ড্রিংকসে? আগেই বলা হয়েছে এতে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলি ক্যানে অন্তত ৮০ মিগ্রা। অথচ ৩৩০ মিলি'র একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২মিগ্রা। কিছু ছোট 'এনার্জি শট'-এ ৬০ মিলি বোতলে ১৬০মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। অথচ বেশী মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়। গর্ভবতী কিংবা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান এমন নারীদের দিনে দুশো মিগ্রার বেশি ক্যাফেইন না সেবন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। সুগার কতটা ক্ষতি করতে পারে? অতিরিক্ত সুগারের কারণে স্থূলতা, দাঁতের সমস্যা ছাড়াও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করে। জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান নির্বাহী ডানকান সেলবি বলছেন, "শিশুদের স্থূলতা মোকাবেলায় এ ধরণের পানীয় বিক্রির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ হবে দারুণ শক্তিশালী পদক্ষেপ"। আরো পড়ুন: বাংলাদেশে কঠোর সরকার হঠাৎ নমনীয় কেন? সরকারি চাকরি শুরুর বয়স সীমা কি ৩৫ করা উচিৎ পাইলট চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা যতটা রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ধর্ষণের অভিযোগ: যা বলছে প্রশাসন | The sale of energy drinks could be banned in England to anybody under 18, amid fears they are damaging children's health, the prime minister has said. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | শ্রীভিজায়া এয়ারের একটি বোয়িং (ফাইল ফটো) ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী বলছে, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে সেই জায়গায় তারা তল্লাশি দল পাঠিয়েছে। স্থানীয় একজন জেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি একটি বিমান সাগরে ডুবে যেতে দেখেছেন। শ্রীভিজায়া এয়ারের বিমানটি রাজধানী জাকার্তার বিমানবন্দর ত্যাগের পরই বিমানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, বিমানটি পশ্চিম কালিমান্তান প্রদেশের পন্টিয়ানাক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল। সোশাল মিডিয়ায় কিছু ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যেগুলো দেখে নিখোঁজ ঐ বিমানের ধ্বংসাবশেষ বলে মনে হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি ২৭ বছর পুরোনো একটি বোয়িং ৭৩৭-৫০০। ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডারটুয়েনটিফোরডটকম জানাচ্ছে, বিমানটির উচ্চতা এক মিনিটের মধ্যে ৩,০০০ মিটার (১০,০০০ ফুট) পড়ে গিয়েছিল। একই ধরনের খবর: কোন কোন দেশে বিমান চলাচল সবচেয়ে বিপদজনক? বোয়িং ম্যাক্স ৭৩৭ বিমান তৈরি আপাতত বন্ধ ঘোষণা শ্রীভিজয়া এয়ার স্থানীয় বিমান অপারেটার। তবে এই ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স নয় যেটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দুটি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি ঘটে ইন্দোনেশিয়ায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে। স্থানীয় বিমান সংস্থা লায়ন এয়ারের ফ্লাইটটি ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে সাগরে বিধ্বস্ত হয়। শ্রীভিজায়া এয়ারের যাত্রী লাউঞ্জ। | A Boeing 737 passenger plane carrying 62 people is believed to have crashed into the sea shortly after take-off from Indonesia's capital Jakarta. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | বিশ্বে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হুয়াওয়ে। ফাইভ জি নেটওয়ার্কে ব্যবহারের জন্য নিউজিল্যান্ডের একটি কোম্পানি হুয়াওয় থেকে সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু দেশটির সরকার বলছে, এই চুক্তির ফলে বড় ধরণের ঝুঁকির তৈরি হতে পারে। কিন্তু এর আগে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের আপত্তির মুখে পড়েছে কোম্পানিটি। কিন্তু কেন এই ভীতি? এসব দেশ চীনের এই প্রযুক্তি কোম্পানি নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ তারা মনে করে, বেইজিং হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিকে শিল্পখাতের বা অন্যান্য ক্ষেত্রের গোপনীয় তথ্য সংগ্রহে বাধ্য করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের গুপ্তচরবৃত্তির ব্যাপারে ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে বিদেশী সরকারগুলো। আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের কতটা ক্ষতির কারণ? পরিবারের সাথে খাওয়ার সময় ফোন দূরে রাখতে চান? অস্ট্রেলিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইন্সটিটিউটের ইন্টারন্যাশনাল সাইবার পলিসি সেন্টারের গবেষক টম উরেন বলছেন, ''তথ্য চুরির ব্যাপারে চীনের সরকারের চেষ্টার ব্যাপারটি অনেকদিন ধরেই পরিষ্কার হয়ে গেছে।'' ''অনেক সাইবার বা বুদ্ধিবৃত্তিক তথ্য চুরির ঘটনার সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রযন্ত্র জড়িয়েছিল,'' তিনি বলছেন। মি. উরেন বলছেন, চীনের সরকার আর দেশটির অনেক কোম্পানির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে এই সন্দেহ আরো বেড়েছে যে, তাদের গুপ্তচরবৃত্তিতে সরকার সমর্থিত এসব কোম্পানি সহায়তা করে থাকতে পারে। সেই সন্দেহ আরো মারাত্মক হয়েছে যখন চীনে নতুন একটি আইন জারি করা হয়েছে, যার ফলে চীনের সংস্থাগুলো দেশটির গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করতে বাধ্য। ফলে এই নতুন আইন আর গুপ্তচরবৃত্তির ইতিহাসের কারণে জাতীয় অবকাঠামোয় হুয়াওয়ে আর জেডটিই কোম্পানির প্রযু্ক্তি ব্যবহারে অনেক দেশের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। ''তারা আসলে বাড়তি কোন ঝুঁকি তৈরি করছে না, সেটা জোর দিয়ে বলা কঠিন,'' বলছেন মি.উরেন। কিন্তু এখন কেন? হুয়াওয়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে পাপুয়া নিউগিনি অনেকগুলো দেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিশ্বে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হুয়াওয়ে। তাই নিউজিল্যান্ডের টেলিকম কোম্পানি স্পার্ক নিউজিল্যান্ড তাদের প্রস্তাবিত ফাইভ জি নেটওয়ার্কের জন্য হুয়াওয়ের সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রস্তাব করেছিল। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: কে এই নতুন টেস্ট ক্রিকেটার সাদমান মনোনয়নপত্র জমা শেষ: সবার নজর খালেদা, জামায়াতের দিকে এরশাদ অসুস্থ, সরকারের সাথে আলোচনা করে কে? কেন নির্বাচন করছেন না ড. কামাল হোসেন কিন্তু বিদেশী সরকারগুলোর কাছ থেকে বাধার মুখে পড়ছে কোম্পানিটি। তাতের উদ্বেগ, এটি হয়তো গুপ্তচরবৃত্তির জন্য একটি পেছন দরজা খুলে দিতে পারে। নিউজিল্যান্ডের সরকারি কমিউনিকেশন সিকিউরিটি ব্যুরোর (জিসিএসবি) প্রধান স্পার্ককে বলেছেন, ''তাদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তায় বড় ধরণের ঝুঁকির তৈরি হতে পারে।'' হুয়াওয়ে বলেছে, ''যেহেতু জিসিএসবি বলেছে যে, এটি একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। যেকোনো উদ্বেগ সমাধান করার আমরা চেষ্টা করবো এবং সামনে এগিয়ে যেতে একত্রে কাজ করবো। অন্য দেশগুলো কি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন? এর আগে জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ফাইভ জি নেটওয়ার্কে হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-র সরঞ্জাম ব্যবহারের একটি প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে হুয়াওয়ে বলেছে, ''তারা ভুল তথ্য পেয়েছে, বাস্তবের সঙ্গে যার কোন ভিত্তি নেই।'' নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে কোম্পানিটি বলছে, তারা একটি প্রাইভেট কোম্পানি, অন্য শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে যার মালিক এর কর্মীরা। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা কেন্দ্র গঠনের প্রস্তাব দিয়ে কোম্পানি বলছে, তাদের ফাইভ জি নেটওয়ার্ক অস্ট্রেলিয়ান এজেন্সিগুলো যাচাই করে দেখতে পারে। অনেক দেশের সরকারের উদ্বেগ, কোম্পানিটির আড়ালে চীনের সরকার গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা করতে পারে গত সপ্তাহে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল একটি প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওয়্যারলেস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে যাতে তারা হুয়াওয়ের সরঞ্জাম ব্যবহার না করে। গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের একটি গোপন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুয়াওয়ের টেলিকম প্রযুক্তি দেশটির নিরাপত্তার জন্য কোন ঝুঁকি তৈরি করছে না, এ বিষয়ে সামান্যই নিশ্চয়তা দেয়া যেতে পারে। তবে একটি দেশ হুয়াওয়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সেই দেশটি, পাপুয়া নিউগিনি বলেছে, তাদের দেশের ইন্টারনেট অবকাঠামো তৈরির জন্য তারা হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তি মাফিক এগিয়ে যাবে। গত একদশক ধরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটি চীন থেকে বড় ধরণের বিনিয়োগ পেয়ে আসছে। | New Zealand has become the latest country to block a proposal to use telecoms equipment made by China's Huawei because of national security concerns. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | জো বাইডেন তিনি বলেন, তার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম মাসগুলোতে হয়তো মহামারি শেষ হয়ে যাবে না, কিছু কৌশলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে কোভিড-১৯ সংক্রমণের গতিপথ পরিবর্তন করে দেবেন তিনি। স্বাস্থ্য বিষয়ক দলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ারপর পুরো আমেরিকা যেন "১০০ দিনের জন্য মাস্কে মোড়া থাকবে।" মঙ্গলবারের একটি রিপোর্টের পর ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন এবং আমেরিকানদের জন্য সরবরাহের পথ সূচিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর মধ্যে হোয়াইট হাউসে কোভিড ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচী, যেটি অপারেশন ওয়ার্প স্পিড নামে পরিচিত সেটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন এবং ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ পাওয়া গেছে এবং ২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ মারা গেছে। দুই ক্ষেত্রে যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। দেশটির অনেক এলাকাই এখন সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়ায় আছে, অনেক মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষের ভ্রমণকেই এর জন্য দায়ী করছেন। বাইডেন কী বলেছেন? প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডেলাওয়ারে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন যেখানে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল জেভিয়ার বেসেরাকে তার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং রোশেল ওয়ালেনস্কিকে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে মনোনয়ন দেন। আরো পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকাতেই সংক্রমণের পিক চলছে মি. বাইডেন বলেন, "আমার প্রথম ১০০ দিনে কোভিড-১৯ ভাইরাস শেষ হয়ে যাবে না। সেটা আমি ওয়াদা করতে পারবো না। আমরা হঠাৎ করেই এই বিপদে জড়াইনি আর তাই হঠাৎ করেই উঠেও আসা যাবে না।" তিনি বলেন, প্রথম ১০০ দিনে আমরা রোগের গতিপথ বদলে দিতে পারি এবং আরো ভাল কিছুর জন্য আমেরিকার জীবন পাল্টে দিতে পারি। তিনি সতর্ক করে বলেন যে,কংগ্রেস যদি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সমাপ্তি টেনে জরুরি ভিত্তিতে তহবিলের ব্যবস্থা না করে তাহলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সব প্রচেষ্টা "মন্থর আর আটকে" যেতে পারে। তিনি বলেন, শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে নেয়াটাও অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই ভ্যাকসিন কর্মসূচী কেমন হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত তেমন কিছু জানাননি মি. বাইডেন। গত সপ্তাহে তিনি অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতা ছাড়ার বিষয়ে তার কাছে কোন পরিকল্পনা তুলে ধরেননি ট্রাম্প প্রশাসন। অপারেশন ওয়ার্প স্পিড নামে ভ্যাকসিন কর্মসূচীর প্রধান বিজ্ঞানী মনসেফ স্লাউই এখনও বাইডেন টিমের সাথে দেখা করেননি। তবে এ সপ্তাহে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মি. বাইডেনের অন্যান্য উপদেষ্টাদের মধ্যে ডা. অ্যান্থনি ফাউচি হচ্ছে প্রধান কোভিড মেডিকেল উপদেষ্টা। হোয়াইট হাউসে কী ঘটেছে? আমেরিকার জনগণের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার কারণে অপারেশন ওয়ার্প স্পিডের একটি উদযাপন অনুষ্ঠান ছিল এটি। যদি এই কর্মসূচীর মূল কাজ চলবে জো বাইডেনের শাসনামলে। ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকার অনুমোদন সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন: "তারা বলছে যে এটা অলৌকিক ঘটনা আর আমারও সেটাই মনে হচ্ছে।" তিনি আরো বলেন, "প্রতিটি আমেরিকান ভ্যাকসিন পেতে চায় এবং আমরা মনে করি বসন্ত নাগাদ আমরা এমন একটি অবস্থানে থাকবো যেটা হয়তো কিছুদিন আগ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাসও করতে পারেনি।" জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত ২৪ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার যাবে বলে আশা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরইমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশেও সই করেছেন যা আমেরিকানরাই যাতে প্রথমে ভ্যাকসিন পায় সেটা নিশ্চিত করবে। একে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতি অনুযায়ী পদক্ষেপ বলে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা কিনতে ফাইজার/বায়োএনটেকের সাথে চুক্তি করেছে মি. ট্রাম্পের প্রশাসন। কিন্তু ফাইজার বোর্ডের এক সদস্য বলেছেন এর চেয়ে বেশি ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাব কয়েকবার নাকচ করে দেয়া হয়েছে এবং জুনের আগ পর্যন্ত ১০০ মিলিয়নের বেশি ডোজও সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য প্রথম দেশ হিসেবে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করে। ভ্যাকসিন নিয়ে কোন অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র? মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, ফাইজার/বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ৯৫% পর্যন্ত কার্যকর। তার মানে এটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ভ্যাকসিনটির অনুমোদন রুখে দেয়ার মতো কোন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি পায়নি এবং এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসার কথা রয়েছে। যদিও পূর্ণ সুরক্ষা পেতে দুটি ডোজ দরকার হবে তবুও একটি ডোজ নিলেও ঝুঁকির ক্ষেত্রে অন্তত ৮৯% সুরক্ষা পাওয়া যাবে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে লাল দানা বা র্যাশ, ইনজেকশন দেয়ার জায়গায় জ্বালাপোড়া, সাময়িক ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, এবং পেশী ব্যথা হতে পারে। তবে এগুলো গুরুতর নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ফার্ম মডার্নাও বলেছে যে তাদের ভ্যাকসিনও একই রকম সুরক্ষা দেবে এবং বড়দিনের আগেই এফডিএ এর অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। | US President-elect Joe Biden has set a goal of 100 million Covid vaccinations in his first 100 days in office. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদে তাঁর শাসনামলে বহুবার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে এবং থাই জনগণ তাঁকে দেখেছেন দেশটির জন্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসাবে। তিনি রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকলেও দেশের চরম উত্তেজনাকর রাজনৈতিক পরিস্থিতির সময় উত্তেজনা প্রশমন করতে তিনি হস্তক্ষেপ করেছেন। সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে তাঁর সীমিত ক্ষমতা থাকলেও অধিকাংশ থাই নাগরিক তাকে প্রায় ঈশ্বরের ক্ষমতাসম্পন্ন বলে মনে করে। ভূমিবল আদুলিয়াদের জন্ম আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যর কেম্ব্রিজ শহরে ১৯২৭ সালের ৫ই ডিসেম্বর। রাজপ্রাসাদের বিবৃতিতে তাঁর বয়স ৮৯ বলে জানানো হয়েছে। এর কারণ ঐ এলাকার বেশ কিছু দেশের মত থাইল্যান্ডেও বয়সের হিসাব করা হয় পশ্চিমের থেকে ভিন্নভাবে। সেখানে শিশু মাতৃগর্ভে থাকার সময়টাও বয়সের হিসাবে ধরে সদ্যোজাত শিশুর বয়স একবছর ধরে হিসাব করা হয়। ভূমিবল সিরিকিতকে বাগদান করেন ১৯৪৮ সালে। ভূমিবলের বংশলতিকা প্রয়াত রাজার জন্মের সময় তাঁর পিতা প্রিন্স মাহিদোল আদুলিয়াদে হার্ভাডে ছাত্র ছিলেন। পরিবার পরে ফিরে আসেন থাইল্যান্ডে এবং সেখানেই ভূমিবল যখন দুবছরের শিশু তখন মারা যান তাঁর পিতা। তাঁর মা তখন যান সুইজারল্যান্ডে এবং সেখানেই যুবরাজ লেখাপড়া করেন। তরুণ বয়সে ছবি তোলা, খেলাধুলা, স্যাক্সোফোনে সঙ্গীত সৃষ্টি, ছবি আঁকা ও লেখার মত নানা শখ ছিল তাঁর। ১৯৩২ সালে থাইল্যান্ডে রাজার শাসনের অবসান ঘটলে থাই রাজতন্ত্রের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৯৩৫ সালে ভূমিবলের চাচা রাজা প্রজাধিপোক সিংহাসন ত্যাগ করলে রাজপরিবারের ক্ষমতা আরও হ্রাস পায়। সিংহাসনে বসেন ভূমিবলের ভাই আনন্দ - তখন তাঁর বয়স মাত্র নয়। ব্যক্তিত্ব ১৯৪৬ সালে রাজপ্রাসাদে রহস্যজনক এক গুলির ঘটনায় রাজা আনন্দ মারা যান। সিংহাসনে বসেন ভূমিবল- তখন তাঁর বয়স ১৮। তাঁর ভাবী স্ত্রী সিরিকিতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় প্যারিসে বেড়ানোর সময়। সিরিকিত ছিলেন সেসময় ফ্রান্সে থাই রাষ্ট্রদূতের মেয়ে। তাঁদের বিয়ে হয় ১৯৫০ সালের ২৮শে এপ্রিল। রাজা ভূমিবল ছিলেন সঙ্গীত উৎসাহী। তাঁর শাসনামলের প্রথম সাত বছর থাইল্যান্ডে ক্ষমতায় ছিল সামরিক শাসক, এবং রাজা ছিলেন নামমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান। ১৯৫৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেনারেল সারিত ধানারাজাতা ক্ষমতা গ্রহণ করেন। রাজা তাকে রাজধানীর রক্ষক হিসাবে ঘোষণা করেন। সারিতের একনায়ক শাসনামলে রাজা ভূমিবল রাজতন্ত্রের ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সক্রিয় হন। সারিত পুরনো প্রথা আবার ফিরিয়ে আনেন যে প্রথা অনুযায়ী রাজার সামনে মানুষের মাথা তুলে হাঁটা নিষিদ্ধ করা হয়- বিধান দেওয়া হয় রাজার সামনে মানুষকে মাথা নত করে হামা দিতে হবে। ক্ষমতাচ্যুতি ১৯৭৩ সালে ভূমিবল থাই রাজনীতিতে নাটকীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করেন । এ সময় গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের ওপর সৈন্যরা গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীদের রাজপ্রাসাদে আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। তবে ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর কম্যুনিস্ট সমর্থন বাড়ার পটভূমিতে রাজা আধাসামরিক বাহিনীর হাতে বামপন্থীদের নির্যাতন ঠেকাতে ব্যর্থ হন। ১৯৭২ সালে রানি এলিজাবেথ থাইল্যান্ডে যান রাষ্ট্রীয় সফরে। সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা এর পর আরও হয়েছে। ১৯৮১ সালে একদল সেনা অফিসার প্রধানমন্ত্রী প্রেম তিনসুলানন্দের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটালে রাজা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিদ্রোহীরা ব্যাংককের নিয়ন্ত্রণ নেয়, কিন্তু রাজার অনুগত সেনা ইউনিট আবার তা পুর্নদখল করে। তবে রাজা যেভাবে বারবার ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ নিয়েছেন তাতে কেউ কেউ রাজার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ১৯৯২ সালেও এক সেনানায়কের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত মানুষজনের ওপর গুলি চালানোর ব্যাপারেও রাজা হস্তক্ষেপ করেন। প্রধানমন্ত্রী থাকসিন চিনাওয়াতের শাসনামলে ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সঙ্কটের সময় রাজাকে বেশ কয়েকবার হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটা যথাযথ হবে না বলে প্রত্যাখান করেছিলেন। রাজা কৃষিকাজের বড়ধরনের সমর্থক ছিলেন। মি: থাকসিন পরবর্তীকালে রক্তপাতহীন এক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা হারান। সেনাবাহিনী তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে রাজার প্রতি। পরবর্তী বছরগুলোতে রাজার নাম ও ছবি সম্মানের সাথে গ্রহণ করে থাকসিনের পক্ষ ও বিপক্ষ দুই ক্যাম্পই। ২০০৮ সালে সারা দেশে মহাসমারোহে রাজা ভূমিবলের ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। ২০১৪র মে মাসে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন জেনারেল প্রায়ুত চান-ওচা। কয়েক মাস পর সেনা সমর্থিত সংসদ তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে। তিনি ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চলা অস্থিরতা যাতে ফিরে না আসে সে অঙ্গীকারও দেন। কিন্তু সমালোচকদের যুক্তি ছিল তিনি মি: থাকসিনকে ধ্বংস করেতে চেয়েছিলেন এবং রাজ পরিবারের ক্ষমতা আবার ফিরিয়ে আনাই তার মূল লক্ষ্য ছিল। ভূমিবলের আমলে থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাঁর সিংহাসনে থাকাকালীন থাইল্যান্ডে অনবরত রাজনৈতিক উথালপাতালের মোকাবেলা করতে হয়েছে রাজা ভূমিবলকে। বলা হয় রাজা ছিলেন সুদক্ষ কূটনীতিক, থাইল্যান্ডের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনর অসামান্য ক্ষমতা ছিল তাঁর। পর্যবেক্ষকরা বলছেন তাঁর মৃত্যুর পর থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের ভিত তিনি যখন সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন তার থেকেও শক্তিশালী হল। । | King Bhumibol Adulyadej of Thailand was the world's longest reigning monarch. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | বাড়ির দেয়াল জুড়ে নানা ছবি এঁকে রেখেছে মেয়েটি সতর্কবার্তা: এই লেখায় এমন কিছু বর্ণনা রয়েছে যা কোন কোন পাঠকের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে ঘটনা শুরু হয়েছিল তার বাবা বাসায় বন্ধুদের মদ খেতে ডাকার মাধ্যমে, বলছে মেয়েটি। মাতাল সেই মানুষগুলো তার বাবা-মায়ের সামনেই তাকে নিয়ে মজা করতো এবং স্পর্শ করতো। অনেক সময় কোন কোন পুরুষ তাদের এক কামরার বাসায় মায়ের সঙ্গে ঢুকে যেন হারিয়ে যেতো। এরপর একদিন, মেয়েটি মনে করে বলছে, তারা পিতা তাকে সেই কামরায় একজন পুরুষের সঙ্গে জোর করে ঢুকিয়ে দেয় এবং বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। পুরুষটি তাকে ধর্ষণ করে। অচিরেই তার শৈশব একটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তার বাবা নানা পুরুষকে ফোন করতো, মেয়ের সঙ্গে থাকার জন্য তাদের সময়ের বুকিং দিতো এবং সেসব পুরুষের কাছ থেকে অর্থ নিতো। কাউন্সেলররা মনে করছেন, এরপর থেকে মেয়েটিকে অন্তত ৩০ জন পুরুষ ধর্ষণ করেছে। গত ২০শে সেপ্টেম্বর একজন শিক্ষকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে শিশুকল্যাণ কর্মকর্তারা মেয়েটিকে তার বিদ্যালয় থেকে উদ্ধার করে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসে। শিশুকল্যাণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই ঘটনায় তার পিতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শিশুকে যৌন উদ্দেশ্যে ব্যবহার এবং যৌন হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সবার জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। আরো পড়ুন: ভারতে একবছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণ কলকাতার আরো একটি স্কুলে কন্যা শিশুকে যৌন নিগ্রহ 'এক পাদ্রী আমাদের নগ্ন হয়ে সাঁতরাতে বাধ্য করেন' ধর্ষণ: ছেলেশিশুরা কি মেয়েশিশুদের চেয়ে নিরাপদ অপরাধ পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে পুলিশ মেয়েটির পিতার পরিচিত আরও পাঁচজন ব্যক্তিকে খুঁজছে যাদের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। পরিবারটির পরিচিত ২৫ জন ব্যক্তির একটি নাম ও ছবি দিয়ে একটি তালিকা তৈরি করে মেয়েটিকে দেখাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ''আমার কারো চেহারা মনে পড়ে না। সবার চেহারাই ঝাপসা,'' তদন্তকারীদের সে বলেছে। দক্ষিণ ভারতের একটি বর্ধিষ্ণু শহরে বসবাস করতো পরিবারটি । এই শহরটি, উঁচু পাহাড়, পরিষ্কার ঘরবাড়ি আর স্বচ্ছ নদীর জন্য পরিচিত। সেপ্টেম্বরের একদিন, মেয়েটি যে এলাকায় থাকতো, তার কাছাকাছি কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে কিছু তথ্য পায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ''পরিবারটির মধ্যে কিছু যেন ঝামেলা আছে এবং তার বাড়িতে কিছু একটা চলছে। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা উচিত,'' তারা বললো। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে নারীদের একটি সহায়তা গ্রুপ থেকে একজন কাউন্সেলরকে ডেকে পাঠালেন। পরদিন সকালে এলেন ওই কাউন্সেলর। শিক্ষকদের কক্ষে মুখোমুখি বসলেন তারা। ওপর তলায় বসে ছিলেন শিশুটির মা, তিনি তখনও জানেন না কি ঘটতে চলেছে। তিনি জানেন, এটি ছিল স্রেফ একটি রুটিন অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠক। কাউন্সেলর মেয়েটিকে বললেন, ''তোমার পরিবার আর জীবন সম্পর্কে আমাকে সব খুলে বলো।'' তারা চার ঘণ্টা ধরে কথা বললেন। মেয়েটি বললো যে, বাড়িতে তার কঠিন সময় যাচ্ছে কারণ তার পিতার কোন চাকরি নেই। বাড়ি ভাড়া না দিতে পারার কারণে যেকোনো সময় তাদের বের করে দেয়া হতে পারে, জানিয়ে সে কাঁদতে শুরু করলো। এরপরে সে নিরব হয়ে গেল। কাউন্সেলর তাকে তার স্কুলের জেন্ডার ক্লাসের কথা বোঝালেন এবং বললেন যে কীভাবে অহরহ শিশুদের নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। কথার মাঝেই মেয়েটি বলে উঠলো, ''আমার বাড়িতেও এরকম কিছু ঘটছে। আমার বাবা আমার মাকে নিপীড়ন করছে।'' কাউন্সেলর জানতে চাইলেন, সে আরও বিস্তারিত বলতে পারে কিনা। মেয়েটি বললো, সে একবার একজন ব্যক্তির দ্বারা হামলার শিকার হয়েছে, যে আসলে তার মায়ের জন্য এসেছিল। তার মা ওই ব্যক্তিকে সাবধান করে দেন। কিন্তু এরপর সে যখন স্কুলে থাকে, তখন অনেক ব্যক্তি তাকে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসে। আরো বেশি বেশি পুরুষ আসতে শুরু করে তাদের বাড়িতে। রাতে মদ খাওয়ার পর তারা তাকেও যৌন নিপীড়ন করতে শুরু করে। কাউন্সেলর জানতে চান, জন্মনিরোধ সম্পর্কে সে কিছু জানে কিনা, যাতে গর্ভধারণ বা রোগব্যাধি থেকে সে নিরাপদ থাকতে পারে। ''না, না, আমরা কনডম ব্যবহার করি,'' মেয়েটি জানায়। এই প্রথমবারর মতো সে স্বীকার করে, পুরো আলাপ আলোচনার প্রায় অর্ধেক সময়ে এসে, সে জানায় যে, তার সঙ্গে যৌনমিলন করা হচ্ছে। এরপরে শৈশব হারিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ এক কাহিনী বর্ণনা করতে শুরু করে মেয়েটি। ''পুরুষরা এসে আমার মাকে বেডরুমে নিয়ে যেতো। আমি মনে করতাম এটাই স্বাভাবিক। এরপরে আমার বাবা আমাকেও একজন অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে একটি কক্ষে ঠেলে দেয়,'' সে বলে। অনেক সময় তার পিতা তাকে নগ্ন ছবি তুলতে বাধ্য করতো এবং সেগুলো নানা ব্যক্তির কাছে পাঠানো হতো, যারা তার কাছে আসতো। এ বছরের শুরুর দিকে তার বাবা-মা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কারণ প্রায় তিনমাস ধরে তার মাসিক হচ্ছিল না। তারা তাকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়, যিনি একটি আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করাতে বলেন এবং কিছু ওষুধপত্র দেন। সমাজকর্মীরা বলছেন ভারতে বিরাট সংখ্যক পুত্র-শিশু বা কিশোরও নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে এই সময়ে এসে কাউন্সেলর নিশ্চিত হন যে, মেয়েটি ধারাবাহিক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিনি শিশু কল্যাণ কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠান এবং মেয়েটিকে জানান যে, তাকে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাকে সে সময় শান্ত দেখাচ্ছিল। শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং শেষ করে বেরিয়ে এসে তার মা দেখতে পান, তার মেয়েকে একটি গাড়িতে তোলা হচ্ছে এবং তিনি চিৎকার শুরু করেন। ''কীভাবে তোমরা আমার মেয়েকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছ?'' কাউন্সেলর তাকে জানান যে, তারা মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছেন কারণ তার কিছু 'আবেগজনিত সমস্যা রয়েছে' এবং এজন্য তাকে কাউন্সেলিং করতে হবে। ''আমার অনুমতি ছাড়া আমার মেয়েকে কাউন্সেলিং করার আপনি কে?'' এর মধ্যেই মেয়েটিকে নিয়ে গাড়িটি আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছে। পরবর্তী দুই মাস সে সেখানে অন্য মেয়েদের সঙ্গে একত্রে বসবাস করছে- যাদের সবাই যৌন নিপীড়নের শিকার। শিশুদের যৌন নিপীড়নের লজ্জাজনক রেকর্ড রয়েছে ভারতের। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ নিপীড়নের ঘটনাগুলো ঘটে ভূক্তভোগী মেয়েটির পরিচিত লোকজন, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, চাকরিদাতাদের মাধ্যমে। সর্বশেষ যে বছরের তথ্য পাওয়া যায়, সেই ২০১৭ সালে ভারতে ১০,২২১টি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। দেশটিতে শিশুদের ওপর অপরাধের ঘটনা সম্প্রতি বেশ ব্যাপক হারে বেড়েছে। কাউন্সেলররা বলছেন, এই মেয়েটির মতো ভয়াবহ ঘটনা এবারই প্রথম নয়। যে আশ্রয়কেন্দ্রে মেয়েটি এখন রয়েছে, সেখানে এমন তিনটি মেয়ে রয়েছে, যারা তাদের পিতার কাছেই যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। একজন কাউন্সেলর বলেছেন, তিনি গর্ভবতী ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়েকে একবার সরিয়ে আনতে সহায়তা করেছিলেন-যাকে তার পরীক্ষার কক্ষেই তার পিতা ধর্ষণ করেছেন। ''শিশুটির জন্মের পর তাকে ত্যাগ করার জন্য যখন আমরা মেয়েটিকে বলি, সে বলেছে, কেন আমি শিশুটিকে ত্যাগ করবো? এটা আমার পিতার সন্তান। আমি তাকে বড় করে তুলবো,'' কাউন্সেলর জানান। বাড়ির দরজায় মেয়েটির আঁকা একটি ছবি যে মেয়েটির কথা এই লেখায় বলা হচ্ছে, আশ্রয়কেন্দ্রে আসার পর সে প্রথম দুইদিন টানা ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। এরপর সে হিজিবিজি লিখতে শুরু করে দেয়ালে। সে সেখানে লেখে যে, তার আম্মাকে সে কতটা ভালোবাসে। তার মা বলেছে, তার মেয়ে (যৌন নির্যাতনের) গল্প বানিয়েছে কারণ, ''সে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করেছে এবং আমাদের একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছে।'' একটা সময়ে তাদের অবস্থা এতোটা খারাপ ছিল না, তিনি বলছেন। তার স্বামী কখনো কখনো প্রতিদিন তার কাজ থেকে এক হাজার রূপিও উপার্জন করতেন। এখন তিনি একটি খালি বাড়িতে একা বাস করছেন- তার স্বামী কারাগারে বিচার শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, তার মেয়ে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে। মেয়েটির মা বিবিসিকে বলছেন, '' আমি একজন যত্নশীল মা, আমাকে তার দরকার আছে।'' বাড়িটির দেয়ালে নানা ধরণের ছবি আঁকা রয়েছে। মেয়ের অনুপস্থিতিতে এসব ছবিই যেন তার স্মৃতি ধরে রেখেছে। '' সে দেয়ালে হিজিবিজি ছবি আঁকতে পছন্দ করতো। সে শুধু এটাই করতো।'' তার মা বলছেন। ''বন্ধুরা, আমি যদি মন খুলে আমার অন্তরের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারতাম, তাহলে সেটা নিজের জন্যই একটা অর্জন হতো,'' একটি কাগজে লিখে একটি দরজায় সেঁটে রেখেছে মেয়েটি। কয়েকমাস আগে মা আর মেয়ের মধ্যে একটা ঝগড়া হয়। স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়েটি কিছু নীল রঙের পেন্সিল নিয়ে আসে, একটি পাম গাছ ও চিমনিসহ একটি বাড়ির ছবি আঁকে, যার সামনের দরজায় ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই বয়সী অনেক মেয়েই তাদের কল্পনা থেকে এরকম ছবি আঁকতে পারে। এরপর সে তাড়াতাড়ি দরজার নিচে একটা কথা লিখে বেরিয়ে যায়। মেয়েটি লিখেছিল, '' সরি আম্মা।'' আরো খবর: 'আমার ছেলেমেয়েদের কাছে বাবা মানে একটা গল্প' কেরানীগঞ্জ অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮ জনের হাসপাতালে মৃত্যু ব্রিটেনে ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স বন্ধের নির্দেশ | Every weekend for two years, men would come home and rape her, the 12-year-old told counsellors. Some were known to her father, some were not. Warning: This article contains details some readers may find distressing. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চীন জুড়ে মানুষ মুখে মাস্ক পড়তে শুরু করেছে। প্রতিনিয়তই চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে এবং আরো সংক্রমণের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া পরিকল্পনা করেছে যে, চীন থেকে ফেরত আসা তাদের ৬০০ নাগরিককে মূল ভূখণ্ডে নেয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখবে। যা মূল ভূখণ্ড থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপও তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ভাইরাসটিকে "ডেভিল বা খুবই খারাপ প্রকৃতির" বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে চীন এটাকে পরাজিত করবে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের-এনএইচসি এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রাদুর্ভাবটি শীর্ষে উঠতে আরো ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। বুধবার এনএইচসি বলেছে, চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের সি ফুড মার্কেটে অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর ও তীব্র সংক্রমণ হয় যার কোন নির্দিষ্ট নিরাময় বা প্রতিষেধক নেই। এরইমধ্যে স্টারবাকস চীনে তাদের অর্ধেকেরও বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে, এছাড়া অর্থনৈতিক প্রভাবও মারাত্মক হতে শুরু করেছে। কাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে? অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশের নাগরিকদের দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে। এই ঘোষণার পর সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে কারণ এই দ্বীপটি অভিবাসন প্রত্যাশীদের বন্দী শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শিবিরগুলোর বেহাল দশা এবং এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে চার সদস্যের একটি শ্রীলংকান পরিবার রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক হাজার মানুষকে ধারণ করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি নিজেদের ৫৩ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে ক্যানবেরার সাথে একযোগে কাজ করবে নিউজিল্যান্ড। প্রায় ২০০ জন জাপানি নাগরিক উহান থেকে বিমানে করে টোকিওর হানেডা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। আরো ৬৫০ জন জাপানি বলেছে যে তারা ফিরে যেতে চান এবং দেশটির সরকার বলেছে যে তারা আরো ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে। জাপানের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ফিরে আসা নাগরিকদের মধ্যে অনেকে জ্বর এবং কাশিতে ভুগছেন। তবে উপসর্গ দেখা না দিলেও ফিরে আসা সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে তাদেরকে একটি নিয়ন্ত্রিত ওয়ার্ডে রেখে পরীক্ষা করা হবে এবং এগুলোর ফল না আসা পর্যন্ত তাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। বুধবার, যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কিছু মার্কিন নাগরিকও উহান শহর ছেড়ে গেছে। সিএনএন এর তথ্য মতে, তাদেরকে কম পক্ষে দুই সপ্তাহ ধরে বিমান বন্দরের হ্যাঙ্গারে তৈরি করা বিশেষ ব্যবস্থায় থাকতে হবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও তাদের প্রায় ২০০ নাগরিককে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে যারা ফিরে আসতে চান। কিন্তু কিছু কিছু ব্রিটিশ নাগরিক কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে অভিযোগ তুলেছেন যে, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। আলাদাভাবে, দুটি বিমান ইউরোপের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে, এরমধ্যে প্রথম ফ্লাইটে ২৫০ জন ফরাসি নাগরিক চীন ছাড়বেন। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে চারটি ফ্লাইটে তাদের ৭০০ নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু তাদেরকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সংক্রমণের শিকার নাগরিকদের সব খরচ সরকার বহন করবে। এ পর্যন্ত, দেশটিতে চার জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরইমধ্যে, হংকং চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণ বন্ধের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। উহানের সাথে সাথে পুরো হুবেই প্রদেশই যানবাহন চলাচলের দিক থেকে অচল হয়েছে পড়েছে। উহানের হাসপাতালে রোগীর ভীড়। ভাইরাস সম্পর্কে সবশেষ তথ্য কী? জার্মানি, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান এবং জাপানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে- যা চীন থেকে ভ্রমণকারীদের ভাইরাস বয়ে আনার ধারণার বিপরীত-এই তথ্য ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ আরো বাড়িয়েছে। চীনের শীর্ষস্থানীয় বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান যিনি এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির প্রধান তিনি শিনহুয়া সংবাদ সংস্থাকে বলেন, "আমার মনে হয় এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে, এই প্রাদুর্ভাবটি শীর্ষে পৌঁছাবে এবং এর পরে আর বড় মাত্রায় কোন সংক্রমণ হবে না।" চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে একমত হয়েছে যে, দেশটিতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হবে যাতে তাদের সহায়তায় এই ভাইরাস বোঝা যায়, এবং এর বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবেলায় নির্দেশনা পাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট শি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আঢানম ঘেব্রেয়েসাসের সাথে বেইজিংয়ে দেখা করেন এবং বলেন: "ভাইরাসটি খুবই খারাপ প্রকৃতির এবং এটিকে আমরা লুকিয়ে থাকতে দেবো না।" সাউথ চীন মর্নিং পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে বলে, ২০০৩ সালে বেইজিংয়ে একটি হাসপাতাল সাত দিনে তৈরি করা হয়েছে সার্স ভাইরাসে সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য। সেই হাসপাতালটিকে আবারো প্রস্তুত করা হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার উপযোগী করে তোলার জন্য। উহানেও একই ধরণের একটি হাসপাতাল দ্রুত তৈরি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে যা দেখলো বিবিসি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, চীনের বাইরে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ৬০টি ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি রয়েছে থাইল্যান্ডে যেখানে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মানবদেহথেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার নতুন যে খবর এসেছে তা করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। জাপান এবং জার্মানিতে সাম্প্রতিক ঘটনা গুলো থেকে জানা যায় যে, সংক্রমণের শিকার কারো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসলে অন্য ব্যক্তির মধ্যেও এটা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে যাদের কাশি এবং জ্বরের উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের মধ্যে এখনো কোন উপসর্গ দেখা দেয়নি তাদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর উপসর্গ দেখা দিতে কারো কারো এক সপ্তাহরও বেশি সময় লাগতে পারে। যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে-এর মানে হচ্ছে, আক্রান্ত বা যে সংক্রমণের জীবাণু বহন করছে এমন কারো থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখা যাতে নিঃশ্বাসের সাথে জীবাণু প্রবেশ করতে না পারে কিংবা তাদেরকে স্পর্শ করতে না হয়। | Hundreds of foreign nationals are being evacuated from Wuhan, the centre of China's coronavirus outbreak, as more deaths and cases are confirmed. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ডায়ানার মৃত্যুর প্রায় কুড়ি বছর পর চ্যানেল ফোর এই ভিডিওগুলো সম্প্রচার করতে চলেছে 'ডায়ানা :ইন হার ওন ওয়ার্ডস' নামে চ্যানেল ফোরেরএই তথ্যচিত্রটি ডায়ানার কুড়িতম মৃত্যুবার্ষিকীর আগে প্রচারিত হওয়ার কথা আছে। এই টেপগুলো রেকর্ড করেছিলেন যুবরানি ডায়ানার একজন 'স্পিচ কোচ' -এবং এগুলো যুক্তরাজ্যে আগে কখনও দেখানো হয়নি। চ্যানেল ফোরের মতে, এই টেপগুলো ডায়ানার জীবনের 'একটা অজানা দিকে আলো ফেলবে'। তবে ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রোসা মঙ্কটন মনে করছেন এটা প্রয়াত ডায়ানার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া কিছুই নয়। এই টেপগুলো যাতে প্রচার না-করা হয়, সে জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি চ্যানেল ফোরকে চিঠিও লিখছেন। এই ফুটেজগুলো রেকর্ড করেছিলেন পিটার সেটলেন, যাকে প্রকাশ্য স্থানে কথা বলার মতো কন্ঠস্বর তৈরিতে সাহায্য করার জন্য ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে যুবরানি ডায়ানা নিয়োগ করেছিলেন। মি সেটলেন কেনসিংটন প্যালেসে ডায়ানার এই ভিডিওগুলো রেকর্ড করেন। ওই টেপগুলোতে ডায়ানা যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে তার বিবাহিত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন সেখানে তাকে যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে তার বিয়ে, তাদের যৌনজীবন, এবং ক্যামিলা পার্কার বোলসের সঙ্গে তার স্বামীর সম্পর্ক নিয়ে কীভাবে তিনি চার্লসের কৈফিয়ত দাবি করেছিলেন - সে সব বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়। ব্রিটেনের রাজপরিবারের সাবেক মুখপাত্র ডিকি আর্বিটারও বিবিসিকে বলেছেন, এই ভিডিও প্রচার করাটা চ্যানেল ফোরের কোষাগার ভর্তি করার ফিকির ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, ''এই টেপগুলো একটা ট্রেনিং সেসনের অংশ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। চার দেওয়ালের ঘেরাোপের মধ্যে যেটা করা হযেছে সেটা গোপনই থাকা উচিত।'' রাজপরিবারের একজন জীবনীকার পেনি জুনরও বলেছেন, তার মতে এই ভিডিও টেপগুলো সম্প্রচার করাটা হবে 'অত্যন্ত অশালীন - এবং অবশ্যই অনৈতিক'। পিটার সেটলেনের আইনজীবী অবশ্য বিবিসির কাছে দাবি করেছেন তারা এই টেপগুলো সম্প্রচার করার মধ্যে কোনও অন্যায় দেখছেন না। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন ডায়ানা। আরও পড়ুন: অজ্ঞান করা হয়েছে তোফা ও তহুরাকে, আলাদা হবে আজ চকলেট-লিচুর লোভ দেখিয়েছিল বাড্ডার ধর্ষণকারী | Friends of Princess Diana have urged Channel 4 not to broadcast controversial video tapes of her talking about her troubled marriage. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | Passengers inside the plane filmed the birds and felt a thud as they hit the engine এই ঘটনায় ২৩জন আহত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন বিমানটি ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় অবতরণ করেছে এবং নামার সময় বিমানের চাকাগুলো খোলেনি। ইউরাল এয়ারলাইনসের ৩২১ এয়ারবাসটি ক্রাইমিয়ার সিমফেরোপলে যাচ্ছিল। বিমানটি ওড়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই এক ঝাঁক চিলের সাথে ধাক্কা খায় এবং ফলে বিমানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই অবতরণকে ''রামেনস্কে অলৌকিক অবতরণ'' বলে বর্ণনা করেছে। বিমান সংস্থা বলেছে বিমানটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বিমানটি আর উড়তে পারার অবস্থায় নেই। সরকারি তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে ঝাঁক ঝাঁক পাখি রানওয়ে চিহ্নিত করে বিমান অবতরণ করালো অটোপাইলট নামার সাথে সাথে বিমানটি কাঁপছিলো: প্রত্যক্ষদর্শী রুশ ঐ বিমানে ২৩৩ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী ছিলেন। বিমান পাখিগুলোকে ধাক্কা মারার পর বিমানের ইঞ্জিন সেগুলোকে ভেতরে টেনে নেয়। বিমান চালক সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অজ্ঞাতপরিচয় একজন যাত্রী রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে জানান বিমানটি মাটি থেকে আকাশে ওঠার পর অসম্ভব রকম কাঁপতে শুরু করে। ''পাঁচ সেকেণ্ড পরেই বিমানের ডানদিকে বাতি ফ্লাশ করতে শুরু করে এবং পোড়া গন্ধ বেরতে থাকে। এরপর বিমানটি অবতরণ করে এবং প্রত্যেকে বিমান থেকে বেরিয়ে ছুটে পালায়,'' বলেন তিনি। বিমান পরিবহন সংস্থা রোজাভিয়াৎসিয়া বলছে বিমানটি ঝুকোভস্কি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটা ভুট্টা ক্ষেতে নেমেছে। বিমানের ইঞ্জিন কাজ করছিল না এবং চাকাও গুটানো ছিল। বিমানটি অবতরণের পর যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় যাত্রীদের বিমান থেকে বের করে আনা হয়, কিছু যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং বাকিদের আবার বিমানবন্দরে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে বিমানটি জরুরি অবতরণের পর যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাদের মাধ্যে পাঁচজন শিশু আছে। আহতদের মধ্যে ''কয়েকজনের আঘাত গুরুতর, কয়েকজন মোটামুটি কম আহত হয়েছেন'' বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ইউরাল এয়ারলাইন্স-এর পরিচালক কিরিল স্কুরাতফ্ তাস সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন যেসব যাত্রী তাদের গন্তব্যে যেতে চান, তাদের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করার পর তাদের বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রার ব্যবস্থা করা হবে। রুশ সংবাদমাধ্যম এই ঘটনাকে ২০০৯ সালে ইউ এস এয়ারওয়েসের একটি বিমান ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যেভাবে হাডসন নদীর ওপর জরুরি অবতরণ করেছিল তার সাথে তুলনা করেছে। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে পাখির সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষ একটা চলতি সমস্যা। আমেরিকায় বছরে কয়েক হাজার এধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। তবে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা বা বিমানের ক্ষতির ঘটনা প্রায় বিরল। | A Russian passenger plane has made an emergency landing in a cornfield near Moscow after striking a flock of birds. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের ইমেইল ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্যার কিম ডারখের এসব বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের কড়া সমালোচনা রয়েছে, যেখানে হোয়াইট হাউজকে 'অদ্ভুত ও নিষ্ক্রিয়' বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর। ব্যাপক কূটনৈতিক ক্ষোভের মধ্যে হাউজ অব কমন্সে আহবান জানানো হয়েছে যে, পুরো ব্যাপারটির যেন পুলিশি তদন্ত হয়। পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? এর প্রতিক্রিয়া কতদূর গড়াতে পারে? এটা কি 'লিক' নাকি 'হ্যাক'? ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বারবার বলেছে, এখানে তথ্য ফাঁস হয়েছে, হ্যাকিং নয়। প্রথমে পুরো ঘটনাটিকে তারা খুব বেশি গুরুত্বের সাথে না নিলেও পরে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। এই তথ্য ফাঁস হওয়া কোন ষড়যন্ত্রের অংশ অথবা ব্রেক্সিট পরিকল্পনার অংশ বলে যেসব ধারণার কথা বলা হয়েছে, সেসব নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী স্যার অ্যালান ডানকান। তিনি একে একটি 'জঘন্য তথ্য ফাঁস' বলে বর্ণনা করেছেন এবং ভেতর থেকেই এটি ফাঁস হয়েছে বলে বলেছেন। হোয়াইট হাউজের একটি সূত্র দি টাইমসকে জানিয়েছে: 'এই ঘটনায় শত্রুভাবাপন্ন কোন রাষ্ট্রের ভূমিকা থাকার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেয়া যায় না।' তবে ডাউনিং স্ট্রিটের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখানে বিদেশি কোন শক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরো পড়ুন: গোপন বার্তায় ট্রাম্পকে নিয়ে যা বলেছেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সোশাল মিডিয়াকে কেন যুক্তরাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট এসব ইমেইল কত মানুষ দেখতে পারে? মন্ত্রী, এমপি বা বিশেষ উপদেষ্টাদের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছেন, তারা শুধুমাত্র তাদের ব্যাপারেই তদন্ত করবে, যাদের এসব ইমেইলে প্রবেশাধিকার রয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের পাঠানো ইমেইল সরকারের ভেতর কতজন কর্মকর্তা দেখার সুযোগ পান, এমন প্রশ্নের জবাবে স্যার অ্যালান বলেছেন, তার ধারণা, প্রায় একশোজন ব্যক্তি এটা দেখে থাকতে পারেন, যদিও সেটা ইমেইলের গোপনীয়তার মাত্রার ওপর নির্ভর করে। যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা সাবেক একজন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এবং স্যার কিমের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেছেন, এখানে বেশ অনেক ব্যক্তির দায় থাকতে পারে, যাদের কেউ এসব ইমেইল ফাঁস করে থাকতে পারেন। স্যার ক্রিস্টোফার মেয়ার বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রামে বলেছেন, ''এটা পরিষ্কার যে, কেউ একজন ইচ্ছাকৃত ভাবে স্যার কিমের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বের ক্ষতি করার জন্য এটা করেছেন, যাতে তিনি অগ্রহণীয় হয়ে পড়েন এবং তথ্য ফাঁসকারীর পছন্দের কেউ এই দায়িত্ব লাভ করতে পারেন।'' কীভাবে তথ্য ফাঁসের তদন্ত করা হয়? কূটনীতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে কমন্সে আহবান জানানো হয়েছে যাতে এই ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করে। কমন্সের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেনহাট এমপিদের বলেছেন, তিনি মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন যে, এক্ষেত্রে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা যায় কিনা। সার অ্যালান বলেছেন, তথ্য ফাঁস নিয়ে কোন অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে তখনি পুলিশ আসতে পারে। তিনি কমন্সে বলেছেন, '' এখানে যদি অপরাধের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই, পুলিশ এখানে জড়িত হতে পারবে।'' গত এপ্রিল মাসে হুয়াওয়ে লিক ঘটনার পর লর্ড ওডোনেল, সিভিল সার্ভিসের সাবেক প্রধান জানিয়েছিলেন যে, এ ধরণের পরিস্থিতিতে কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে - দায়ীদের সনাক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের মোবাইল ফোন এবং ইমেইল রেকর্ড যাচাই করে দেখতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ডারখ কি শাস্তি হতে পারে? যে ব্যক্তি বা মানুষজন 'মেইল অন সানডে' পত্রিকার কাছে এসব ইমেইল ফাঁস করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের আওতায় বিচারের জন্য অভিযোগ আনা হতে পারে। এই আইনের আওতায় বিচারের ঘটনা খুবই কম, তবে একেবারেই যে ঘটেনি তা নয়। তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে দুই বছর কারাদণ্ড অথবা বড় অংকের জরিমানা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়তে পারেন: ঢাকা শহরে রিকশার ভবিষ্যৎ কী ৫৮৬ কেন্দ্রে সব ভোট নৌকা মার্কায় প্লেনে ভিআইপি বিতর্কে ৪ ফ্লাইট কর্মী বরখাস্ত | Confidential emails from the UK's ambassador in Washington which criticised President Donald Trump were leaked over the weekend. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানা কয়েকমাসের টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের পক্ষে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা । ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানা কয়েকমাসের টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার আগাম নির্বাচনের পক্ষে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা । ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৩৮টি আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০জন। ১৯২৩ সালের পর এই প্রথমবার যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। দেশটিতে ২০১৭ সালে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে বিলটি এখনো লর্ড সভায় অনুমোদন হওয়ার বাকি রয়েছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকেই এটি আইনে পরিণত হতে পারে। আর তা হলে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বাকি থাকবে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, দেশের জনগণের ব্রেক্সিট এবং দেশের ভবিষ্যৎ বিষয়ে মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে। মি. জনসন আশা করছেন যে, বেক্সিট চুক্তি এবং বর্তমান পার্লামেন্টে অচলাবস্থা নিরসনে তাকে নতুন করে ম্যান্ডেট এনে দেবে নির্বাচন, যে ব্রেক্সিটের জন্য ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত এখন সময় পেয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহের কারণে যে ২১জন টোরি এমপিকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেককে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তারা কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করতে পারবেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, দেশ সংস্কার এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই নির্বাচন বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি সুযোগ। তিনি জানিয়েছেন, তার দল এখন দেশের সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী আর জোরালো প্রচারণা শুরু করবে, যা এই দেশ এর আগে কখনো দেখেনি। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান: আইসিসি হোয়াটসঅ্যাপে জুয়াড়ির সাথে কী কথা হয়েছিল সাকিবের বিয়ের পর কেমন হয় নববধূর অভিজ্ঞতা সৌদি থেকে নারী শ্রমিকদের মৃতদেহ আসার সংখ্যা বাড়ছে | The UK parliament has voted in favour of an early general election, with a majority of MPs agreeing the vote should take place on 12 December. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | আমেরিকানদের উপর হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি সাইটকে "টার্গেট করছে" এবং "খুব দ্রুত এবং খুব কঠোরভাবে" হামলা চালানো হবে। একটি ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর ইরান তার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। এই ধারাবাহিকতায় এমন মন্তব্য করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মিস্টার ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন যে, জেনারেলের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরান "যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু সম্পদকে টার্গেট করার কথা খুব জোরালোভাবে বলছে।" তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি সাইট সনাক্ত করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি "শীর্ষস্থানীয় এবং ইরানের সংস্কৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এসব টার্গেট এবং ইরান, খুব দ্রুত খুব কঠোর হামলার মুখে পড়বে" যদি তেহরান যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করে। "যুক্তরাষ্ট্র আর কোন হুমকি চায় না," প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ৫২টি টার্গেট ইরানে বন্দী থাকা ৫২ জন আমেরিকানের প্রতিনিধিত্ব করবে; যারা ১৯৭৯ সালের শেষ দিকে মার্কিন দূতাবাস থেকে আটক হওয়ার পর ইরানে এক বছরের বেশি সময় বন্দী ছিল। তার টুইটের পরেই, মার্কিন সরকারের একটি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়ে যায়। আমেরিকান ফেডারেল ডিপোজিটরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটটি হ্যাক হওয়ার পর সেখানে দাবি করা হয় যে, সেটি ইরান সাইবার নিরাপত্তা গ্রুপের হ্যাকাররা হ্যাক করেছে। এতে বলা হয়: "ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের পক্ষ থেকে এটি একটি বার্তা।" "এলাকায় আমরা আমাদের মিত্রদের সমর্থন করা থেকে পিছপা হব না: ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের শিকার মানুষ, ইয়েমেনে নির্যাতনের শিকার বাসিন্দারা, সিরিয়ার জনগণ ও সরকার, ইরাকের জনগণ ও সরকার, বাহরাইনের নির্যাতিত মানুষ, ফিলিস্তিন ও লেবাননের মুজাহিদি প্রতিরোধ, তাদেরকে আমরা সব সময়ই সমর্থন করবো।" ওয়েব পেইজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি কার্টুন চরিত্র দেয়া হয় যেখানে তার মুখে আঘাত এবং রক্ত বের হওয়া চিত্রায়িত করা হয়। এরআগে শনিবার কী হয়েছিল? বাগদাদে সোলেইমানির জানাজায় হাজার হাজার মানুষের মিছিলের কয়েক ঘণ্টা পর এই টুইট করেন মিস্টার ট্রাম্প। গত শুক্রবার বাগদাদেই নিহত হয়েছিলেন সোলেইমানি। মিছিলে শোকাতুর জনতা ইরাক এবং মিলিশিয়াদের পতাকা উড়ায় এবং "আমেরিকার মৃত্যু" বলে স্লোগান দেয়। সোলেইমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হতো। মিছিলের পরপরই ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের কাছেও একটি রকেট হামলা হয়। ইরাকের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, এতে কেউ হতাহত হয়নি। হামলায় জড়িত থাকার কথা এখনো কেউ স্বীকার করেনি। সম্প্রতি অন্যান্য হামলার জন্য ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের দায়ি করা হয়। কুদস বাহিনীর প্রধান কমান্ডারকে হত্যার জবাবে এরইমধ্যে কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক করেসপনডেন্ট জোনাথন মার্কাস বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই মনে করছেন যে, পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হল আগে থেকেই কঠোর শর্তের হার বাড়ানো এবং তেহরান যদি তাদের হুমকি বাস্তবায়ন করে তাহলে তার কী পরিণতি হবে সেটিও আগে থেকেই জানিয়ে দেয়া। আরো পড়তে পারেন: ইরান নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল আসলে কী? সোলেইমানি হত্যার কী প্রতিশোধ নিতে পারে ইরান? ট্রাম্প বললেন, যুদ্ধ বন্ধ করতেই সোলেইমানিকে হত্যা ট্রাম্পের টুইট নানা কারণেই কৌতূহলোদ্দীপক- তার মধ্যে রয়েছে, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে মার্কিন দূতাবাস থেকে ৫২ জন মার্কিন জিম্মির প্রতীকী হিসেবে ইরানের ৫২টি সাইট টার্গেট করা। তার উল্লেখ করা টার্গেট "ইরানের সংস্কৃতির জন্য" গুরুত্বপূর্ণ বলতে দেশটির নেতৃত্ব, সামরিক বাহিনী বা অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও আরো বেশি কিছু বোঝানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইরানকে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া ঠেকিয়ে দেবে এমন কোন বাধা বা কারণ প্রতিষ্ঠা করতে বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু বল এখন ইরানের কোর্টে এবং তেহরান কোন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় কিনা সেটাও দেখার বিষয়। আমেরিকানদের উপর হামলা না চালাতে ইরানকে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তেহরানের সাথে পরমাণু চুক্তি বাতিলের পর থেকেই মিস্টার ট্রাম্প পরস্পরবিরোধী নীতি অনুসরণ করে আসছেন- অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছেন, সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন, কিন্তু আসলে করছেন খুব কম, এমনকি যখন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যাধুনিক ড্রোন ভূপাতিত করে এবং সৌদি আরবে একটি তেল স্থাপনায় হামলা চালায় তখনও। সর্বোপরি, তিনি বারবার ওই অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তার এবং ওয়াশিংটনের অবস্থানকে অবমূল্যায়ন করেছেন। এসব কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরোধকে দুর্বল করেছে যা মিস্টার ট্রাম্প এখন দেরিতে হলেও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। | President Trump has warned the US is "targeting" 52 Iranian sites and will strike "very fast and very hard" if Tehran attacks Americans or US assets. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে মাইক পম্পেওর এই সফরকে গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ফলে এ বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের পুনরুদ্ধারের চেষ্টাই চলছে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু এখনো দুই দেশের মধ্যে মতাদর্শের কিছু পার্থক্য রয়ে গেছে, বিশেষ করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে। তাছাড়া, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের জন্য বিলিয়ন ডলার সাহায্য বাতিল করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালেবানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান, যা দেশটি বরাবর প্রত্যাখ্যান করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মাইক পম্পেও। এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কতটা গলাতে পারবে? পাকিস্তানের ডেইলি নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ''দুই দেশের কর্মকর্তারাই বিশ্বাস করছেন যে, সে সম্পর্ক প্রায় ভেঙ্গে গেছে, সেটি নতুন ভাবে শুরু করার জন্য উভয় দেশই রাজি আছে। আসলে আগে পাকিস্তানের কর্ণধারদের সঙ্গে আমেরিকার কর্মকর্তাদের কথা হতো, তখন আমেরিকান কর্ণধাররা মনে করতেন, তারা যেটি চাইবেন, সেটিই পাকিস্তান মেনে নেবে। তবে এখন পরিষ্কার হয়েছে যে, পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে জনগণের একটি সম্পর্ক রয়েছে এবং পাকিস্তানের ওপর জোর করে কিছু করা যাবে না।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'আমাকে জোর করে আনা হয়েছে, আর আসবো না' বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বৈঠকে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে? পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটে আইএমএফের একটি বেল আউটের বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। মনির আহমেদ বলছেন, ''আগে ওয়াশিংটন আভাস দিয়েছিল যে, তাতে তারা বাধা দিতে পারে। তবে পাকিস্তানে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যে এরকম বেল আউটে তারা কোন বাধা দেবে না। তবে পাকিস্তান শেষপর্যন্ত এই বেল আউটে যাবে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।'' ''সম্প্রতি যে তিনশো মিলিয়ন ডলার কোয়ালিশন সহায়তা তহবিল বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, সেটিও এই বৈঠকে প্রাধান্য পেয়েছে। তবে এখানে এসে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একেবারে বলছেন না যে, ওই তহবিল একেবারে বন্ধ হয়েছে। তারা বলছেন, এটা আবার যেকোনো সময় খুলে দেয়া হবে পারে। তারা চাইছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যে স্বার্থ, সেটি পাকিস্তান বুঝবে। বিশেষ করে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার, সেগুলো তারা দেবে।'' পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর পাকিস্তানের নতুন সরকার কতটা ছাড় দেবে? ইমরান খান এবং মাইক পম্পেও'র বৈঠকে অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং আফগানিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে,আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে তালেবানের ওপর প্রভাব কাজে লাগাবে পাকিস্তান। সাংবাদিক মনির আহমেদ বলছেন, ''পাকিস্তান একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছে, আমেরিকা যা চাইছে, তাতে তাদের আপত্তি নেই। তবে ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম দেশ, সুতরাং পাকিস্তানের যেসব স্বার্থ রয়েছে, সেটাও যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রকে মেনে নিতে হবে। আমেরিকা চাইছে, তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।'' বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: 'আমাকে জোর করে আনা হয়েছে, আর আসবো না' বাংলাদেশের ইসলামপন্থী নেতাদের কেন ডাকছে ভারত | US Secretary of State Mike Pompeo has arrived in Pakistan for talks with new Prime Minister Imran Khan aimed at resetting ties. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি তরুণ প্রজন্ম সংঘাতের ছবি স্মার্টফোনে তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও অ্যাপ একসময় সুপরিচিতি ছিল ভাইরাল হওয়া নাচ-গানের ভিডিওর জন্য। নাচ-গানের ভিডিও শেয়ারের এই সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এখন ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের তরুণ প্রজন্মের জন্য খবর শেয়ার করার একটা গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হয়ে উঠেছে। চীনা মালিকানাধীন এই সাইট তরুণদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বব্যাপী এই অ্যাপ সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করে মাসে প্রায় ৭০ কোটি তরুণ। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া রকেটের ফুটেজ, ইসরায়েলি হামলায় গাযা বিধ্বস্ত হওয়ার এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদের নানা ছবি এই সাইটে এখন ভাইরাল হয়েছে। এর মাধ্যমে সংঘাতের চিত্র দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। পাশাপাশি এমন উদ্বেগও বাড়ছে যে, সামাজিক মাধ্যম ছড়িয়ে দিচ্ছে ভুয়া তথ্য বা উগ্রবাদ। আরও পড়তে পারেন: গাযা এবং ইসরায়েলের মধ্যে এটাই ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে তীব্র সহিংসতা। পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বাড়ার পটভূমিতে এবারের লড়াইয়ের সূত্রপাত। এই সংঘাত চরমে ওঠে যখন মুসলিম ও ইহুদী দুই ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র একটি স্থানে সংঘর্ষ শুরু হয়। গাযা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস গোষ্ঠী ওই এলাকা থেকে ইহুদিদের সরে যাবার হুঁশিয়ারি দেবার পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে। ইসরায়েলও পাল্টা জবাবে বিমাান হামলা চালাতে শুরু করে। এমনকি সাম্প্রতিক লড়াই শুরুর আগেও ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে উত্তেজনার খবর টিকটক-এ ভাইরাল হতে শুরু করে। এপ্রিল মাসে পূর্ব জেরুসালেমের বাসিন্দা দুই ফিলিস্তিনি তরুণের গণপরিবহনে দুজন কট্টরপন্থী ইহুদি তরুণকে চড় মারার ভিডিও এই অ্যাপে ভাইরাল হয়। পরের সপ্তাহে পুলিশ সন্দেহভাজন দুজন তরুণকে গ্রেপ্তার করে। ফিলিস্তিনে আক্রমণ জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদের ক্লিপও টিকটক-এ ছড়াতে শুরু করে। অ্যাপ ব্যবহারকারীরা #SaveSheikhJarrah #সেভশেখজারাহ এই হ্যাশট্যাগে ভিডিও পোস্ট করে। পূর্ব জেরুসালেমের এই শেখ জারাহ এলাকা থেকেই ফিলিস্তিনি পরিবারদের উচ্ছেদের হুমকি থেকে এবারের সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে। এই ভিডিওগুলো এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষ দেখছে এবং শেয়ার করছে। টিকটক বুম: চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং পরাশক্তির সামাজিক মাধ্যম দখলের লড়াই নামে বইয়ের লেখক ক্রিস স্টোকলি-ওয়াকার বিবিসিকে বলছেন যে, টিকটক ব্যবহার করা যেহেতু খুবই সহজ এবং এই অ্যাপ যেহেতু ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়, তাই এই মাধ্যমের কন্টেন্ট ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে যায় খুবই দ্রুত। "এই অ্যাপে ভিডিও তৈরির পদ্ধতি এবং সরঞ্জামগুলো খুবই সহজ -এতই সহজ যে ১২ বছর থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সের যে কেউ নিজেই, প্রযুক্তি বিষয়ে তেমন কোন জ্ঞান না থাকলেও এই অ্যাপে ভিডিও বানাতে পারে," তিনি বলেন। "আর এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বিশাল- আমরা জানি যে সারা পৃথিবীতে নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করে মাসে ৭৩ কোটি বিশ লাখ মানুষ। কাজেই টিকটক-এ আপ যদি কিছু পোস্ট করেন, তা প্রচুর মানুষ দেখবে এটা বাস্তবতা।" আরও পড়তে পারেন: একটি ভিডিওর ছবিতে দাবি করা হচ্ছে গাযায় ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বাঁচতে পালাচ্ছে গাযার মানুষ। এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভিডিওটি পোস্ট করেছে 'মুসলিম' নামে আমেরিকার একটি নিউজ সাইট, যে ভিডিওটি টিকটক-এ দেখা হয়েছে চার কোটি ৪০ লক্ষ বার। সাব্রিনা আবুখদিয়ের নামে আরেকজন টিকটক ব্যবহারকারীর আরেকটি পোস্ট দেখেছে ১৫ লাখ মানুষ। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাযার একটি বিধ্বস্ত বহুতল আবাসিক ভবন এবং ক্রন্দনরত শিশু- সাথে তার লেখা পোস্ট- "আপনারা জানেন কী করতে হবে,"। তিনি এই ভিডিওটি সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছেন। টিকটক ব্যবহারকরী এবং একইসঙ্গে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারেও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘাতের ফুটেজ এবং গাযার ভেতরকার পরিস্থিতির ভিডিও ছবির সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে #সেভশেখজারাহ হ্যাশট্যাগ। পশ্চিম তীরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে বেরিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সমর্থকরাও টিকটক-এ তাদের পোস্ট দিচ্ছে। একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথর থেকে এক ফিলিস্তিনি নারীকে আড়াল করে রেখেছে একজন ইসরায়েলি সৈন্য। টিকটক-এ এই ভিডিওটিও দেখেছে ১৫ লাখের ওপর মানুষ। অনলাইনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এর জোরালো উপস্থিতি রয়েছে। টুইটারে তাদের অনুসারীর সংখ্যা ১৩ লাখ এবং টিকটক-এ তাদের অনুসারী রয়েছে ৭০ হাজারের ওপর। তারাও ইসরায়েলের ভেতরকার চিত্র এবং ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণের ভিডিও টিকটক-এ পোস্ট করছে। "এটা আপনার শহর হলে আপনি কী করতেন?" এমন প্রশ্ন তুলে টিকটক-এ পোস্ট করা তাদের একটি ভিডিও দেখেছে ৩ লাখ মানুষ। ইসরায়েলে হাইফা ইউনিভার্সিটির ড. গ্যাব্রিয়েল ওয়েইমান বলেছেন অনলাইনে এখন "হৃদয় ও মনের লড়াই চলছে" এবং এই মুহূর্তে "এটা অসম লড়াই"। "ইসরায়েলের দিক থেকেও সমানতালে পাল্টা পোস্টিং হচ্ছে, কিন্তু আমি বলব সেগুলো তেমন শক্তিশালী নয়, এবং মোটেও সুসংগঠিত নয়, এবং আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, আমি বলব সেগুলো তেমন মানুষের বিশ্বাস তৈরি করে না," তিনি বিবিসিকে বলেন। "হয়ত ইসরায়েলে কেউই মনে করেনি যে টিকটক একটা শক্তিশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।" জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করবে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা, এ রকম হুমকির কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ার জের ধরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত এ মাসে টিকটক এবং টুইটার-এ একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে যখন একটি গাছ পুড়ছে, তখন তা দেখে নাচছে এবং উল্লাস প্রকাশ করছে ইহুদিরা। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা দাবি করে মসজিদ ধ্বংস হওয়ায় তারা উল্লাস প্রকাশ করছে। বাস্তব ঘটনা ছিল, ওই ইহুদিরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন জেরুসালেম দিবস উদযাপনের জন্য। আগুনে মসজিদের কোন ক্ষতি হয়নি। ইসরায়েলি পুলিশ ওই ঘটনার দোষ চাপায় ফিলিস্তিনিদের ওপর। তারা বলে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া আতসবাজিতে আগুন লেগেছে, আর প্রতিবাদকারীরা বলে ইসরায়েলি সেনা অফিসারদের ছোঁড়া স্টান গ্রেনেডে থেকে আগুনের সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার রাতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গানৎয ফেসবুক এবং টিকটক-কে তাদের সাইট থেকে এসব পোস্ট সরিয়ে ফেলতে বলেন। তিনি বলেন এসব পোস্ট সহিংসতায় আরও উস্কানি যোগাবে। তিনি বলেন উগ্রপন্থীরা সামাজিক মাধ্যমে ইচ্ছা করে এসব ছড়াচ্ছে এবং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তিনি সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোর "সহযোগিতা আশা" করছেন। সংবাদ ওয়েবসাইট ইসরায়েল ন্যাশানাল নিউজ জানায় দুটি সংস্থার নির্বাহী কর্মকর্তারাই "তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সহিংসতা ছড়ানো বন্ধে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের" প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভুয়া ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য অনলাইনে ছড়ানো প্রতিরোধে গড়ে তোলা একটি সংস্থা, ফার্স্ট ড্রাফট নিউজে কাজ করেন শেদানে আরবানি। "আমরা যেসব কন্টেন্ট দেখেছি তার মধ্যে অনেকগুলোই পুরনো সংবাদ মাধ্যম থেকে নেয়া পুরনো খবর, যেগুলো অপ্রাসঙ্গিকভাবে পোস্ট করা হয়েছে," তিনি বিবিসিকে বলেন। তিনি বলেন দু পক্ষ থেকেই সম্পূর্ণ অন্য সময়ের খবর এবং ভিন্ন জায়গার খবর ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে। ইসরায়েল ফিলিস্তিন লড়াইয়ে আরেকটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বিশেষ করে সামাজিক ভিডিও অ্যাপ টিকটক। | As fighting between Israel and Palestinian militants escalates on the ground, TikTok has become a forum for airing tensions. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী মে'র ব্রেক্সিট চুক্তি এ নিয়ে তিন বার হারলো আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউজ অব কমন্সে টেরিজা মে'র চুক্তিটির পক্ষে ২৮৬ এবং বিপক্ষে ৩৪৪ ভোট পড়ে। ব্রেক্সিটের জন্য এটিই ছিল একমাত্র চুক্তি যাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সাথে ব্রিটেনের মতৈক্য হয়েছিল। কিন্তু এ চুক্তিটি পার্লামেন্টে এতটাই সমালোচিত হয় যে পর পর তিনবার ভোটে দিয়েও এটি পাস করাতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী মিসেস মে। এর আগে ব্রিটেনের সামনে সময়সীমা দেয়া হয়েছিল যে একটা চুক্তির ভিত্তিতে যদি ইইউ ত্যাগ করতে হয় - তাহলে ২৯শে মে'র মধ্যেই সেটা পার্লামেন্টে পাস করাতে হবে। কিন্তু মিসেস মে'র আনা চুক্তিটিই যে শুধু পার্লামেন্টে পাস হয় নি তা নয়, তার আগে যেসব বিভিন্ন বিকল্প প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলা হয়েছিল সেগুলোর কোনটাই পাস হয় নি। এখন ব্রিটেনকে হয়তো কোন চুক্তি ছাড়াই ১২ই এপ্রিল ইইউ ত্যাগ করতে হবে। বিশেষজ্ঞ এবং ব্রেক্সিট-বিরোধীদের আশংকা, এর ফলে ব্রিটেনের অর্থনীতির গুরুতর ক্ষতি হবে। আরো পড়ুন: ব্রেক্সিট ইস্যু বোঝার সহজ সূত্র কেন ব্রেক্সিট নিয়ে নাকাল ব্রিটেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে অন্যদিকে ব্রেক্সিট সমর্থকদের একাংশ বলছেন, মিসেস মে-র চুক্তিতে যে ব্যাকস্টপ পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তাতে উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং ব্রিটেনের বাকি অংশ - এ দুয়ের জন্য দুই নিয়ম চালু হবে। তাদের মতে, এক দেশে দুই নিয়ম থাকতে পারে না এবং এর ফলে উত্তর আয়ারল্যান্ড কার্যত যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, ব্রিটেন আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে কখনোই ইইউ থেকে বেরুতে পারবে না। পার্লামেন্টে মিসেস মে'র প্রস্তাব হেরে যাবার পর বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলছেন, মিসেস মে যদি তার প্রস্তাবে পরিবর্তন আনতে না চান তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মিসেস মে'র প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে পাস না হবার পর এখন অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এর মধ্যে কোন চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট, আদৌ ব্রেক্সিট না হওয়া বা বিলম্বিত হওয়া, নতুন কোন প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়া, নতুন করে ইইউতে থাকা-না-থাকা প্রশ্নে গণভোট, মিসেস মে'র পদত্যাগ ও নতুন কারো প্রধানমন্ত্রী হওয়া, অথবা নতুন নির্বাচন - এরকম অনেক সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান ব্রেক্সিট আলোচক মিশেল বার্নিয়ার বলেছেন, ব্রিটেন এর পর কি করতে চায় - তা ব্রাসেলসকে জানানোর জন্য এপ্রিলের ১২ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। বিবিসি বাংলায় আরো খবর: ঢাকার সব বহুতল ভবন পরিদর্শন করা হবে: মন্ত্রী এই শতাব্দীর পর কি বিশ্বে মানবজাতি টিকে থাকবে ভারতের যে সম্প্রদায়ে পতিতাবৃত্তিকে ঐতিহ্য ভাবা হয় একাত্তরের যুদ্ধকে কোন চোখে দেখেছে বলিউড ? | Members of Parliament have rejected for a third time Prime Minister Theresa May's Brexit deal, the withdrawal agreement she sealed with the EU to take the UK out of the bloc. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৬৬৫ চীনা কর্মকর্তারা রোববার নতুন ২০০৯ জন নতুন রোগীর খবর দিয়েছেন যে সংখ্যা কয়েকদিন আগেও তুলনায় অনেক কম। নতুন করে মারা গেছেন ১৪২ জন। কদিন আগেও প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত মানুষের যে সংখ্যা পাওয়া পাওয়া যাচ্ছিল তা চরম ভীতি তৈরি করেছিল। বৃহস্পতিবার এক দিনেই ১৪,০০০ নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। সেই তুলনায় আজকের দেওয়া ২০০৯ জনের সংখ্যাটি কিছুটা স্বস্তি। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, রোববারের নতুন রোগীর সংখ্যা প্রমাণ করছে যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপগুলো কাজে দিচ্ছে। মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শনিবার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন তাদের নিয়ন্ত্রণের ভেতর। তবে চীন সরকার সাফল্যের দাবি করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও সন্দিহান। মিউনিখে ঐ একই সম্মেলনে ডব্লিউএইচও'র প্রধান টেড্রোস আধানোম গ্রেবিয়েসাস শনিবার বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি কোন দিকে যাবে তা ধারণা করা এখনও অসম্ভব। চীন কোন পক্রিয়া অনুসরণ করে এই রোগ শনাক্ত করছে, তার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে ডব্লিউএইচ ও। এই সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে পাঠানো হচ্ছে। চলাচলের ওপর কড়া বিধিনিষেধের কারণে চীনের উহান শহরটি এখন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। বেইজিংয়ে ঢুকলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন ওদিকে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসার দাবি করলেও, স্বাভাবিক জীবন যাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরো কঠোর করেছে চীনা সরকার। যেখান থেকে করোনাভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছে, সেই হুবেই প্রদেশের কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন যেন বাড়ির বাইরে না যায়। খাবার এবং অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যাতে তাদের দোকানে না যেতে হয়। প্রাইভেট কার আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হুবেই এর রাজধানী শহর উহান এখন কার্যত অবরুদ্ধ। শুধু হুবেই নয়, চীন জুড়ে কোটি কোটি মানুষ এখন নানা মাত্রার বিধিনিষেধের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। রাজধানী বেইজিংয়ের পৌর কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা জারী করেছেন, শহরে কেউ ঢুকতে চাইলে তাকে ১৪ দিন স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ কদিন বাইরে ঘোরাফেরা করা যাবেনা। নির্দেশ ভাঙলে কড়া শাস্তি। ব্যবহার করা ব্যাংক নোট নতুন করে বাজারে ছাড়ার আগে সেগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার কর্মসূচি নিয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চীনে ৬৮ হাজারেরও কিছু বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৬৬৫ জন। জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা এই প্রামাদ জাহাজে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৫ চীনের বাইরে মোট ৩০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়ে গেছে। ফ্রান্স, জাপান, হংকং এবং ফিলিপিন্সে এক জন করে মোট চারজন মারা গেছে। চীনের বাইরে যে কমপক্ষে পাঁচশ লোক নিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে জাপানে নোঙর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের একটি প্রমোদ জাহাজেই সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫৫ জন। আমেরিকা, ক্যানাডা এবং হংকং ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে মালয়েশিয়া রোববার জানিয়েছে, তারা চীন থেকে ছেড়ে আসা বা চীনা কোনো বন্দরে ভিড়েছে - এমন কোনো প্রমোদ জাহাজকে তাদের দেশে ঢুকতে দেবেনা। | China has announced a drop in new cases from the coronavirus outbreak for a third consecutive day. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | শুরুতে উৎসাহ পেলেও প্রত্যাশিত ফল না পেলে কয়েকদিন পর হাল ছেড়ে দেন অনেকে। ডায়েট এবং শরীর চর্চায় নানান ধরনের ভুলের কারণে এ ধরনের সমস্যায় পড়েন। কী করে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রেখে ডায়েট এবং শরীর চর্চা করবেন তা জানতে দেখুন এই ভিডিও। | At the start of a new year, lots of people will resolve to make a healthy lifestyle change. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | মুম্বাইয়ের ধারাভিতে বুধবার স্বাস্থ্যকর্মীরা মহারাষ্ট্র, কেরালা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আচমকাই হু হু করে বাড়ছে - এবং এখন নতুন করে লকডাউন জারি করা কিংবা ট্রেন-প্লেনের সফরে কড়া বিধিনিষেধ আরোপের কথাও ভাবতে হচ্ছে। ভারতে নতুন করে কোভিড পজিটিভ কেস বাড়ার ঘটনাকে বিশেষজ্ঞরা সবাই অবশ্য এখনই 'সেকেন্ড ওয়েভ' বলতে রাজি নন। তবে মানুষের ঢিলেঢালা মনোভাব এবং ভাইরাসের মিউটেটেড কিছু প্রজাতিই হয়তো এর জন্য দায়ী বলে তারা অনেকে মনে করছেন। বস্তুত শীতের মাঝামাঝি, জানুয়ারি মাসের দিকে গোটা ভারতে যেভাবে কোভিড কেসের সংখ্যা হু হু করে কমছিল, সেই প্রবণতা প্রায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় দিনদশেক হল। মুম্বাইয়ে লোকাল ট্রেন ফের চালু হতেই আবার প্রবল ভিড় হচ্ছে। ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ এখন আবার রোজ প্রায় হাজার পনেরো নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন - এবং এই সব রোগীর প্রায় পঁচাশি শতাংশই মহারাষ্ট্রসহ ভারতের মাত্র পাঁচটি রাজ্যে। নামী ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল অবশ্য মনে করছেন, "এটা আসলেই সেকেন্ড ওয়েভ না কি তত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় সেটা বলার সময় হয়তো এখনও আসেনি।" তবে গোটা ভারতের পরিসংখ্যানের দিকে একসাথে না-তাকিয়ে তিনি রাজ্য বা অঞ্চলভিত্তিক সংখ্যাগুলোর দিকে তাকানোরই পরামর্শ দিচ্ছেন। নতুন কেস সবচেয়ে বেশি যে রাজ্যে, সেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এর মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাজ্যে আবার সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হবে কি না এ সপ্তাহের মধ্যেই সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মুম্বাইয়ের রাস্তায় সাধারণ মানুষও স্বীকার করছেন, লকডাউন হলে দুর্ভোগ হবে ঠিকই - কিন্তু এর জন্য সরকারকে দায়ী করে লাভ নেই। আরও পড়তে পারেন: কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে পাঞ্জাবেও। অমৃতসরে একজনের কোভিড পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হচ্ছে "মানুষই ভিড়ের জায়গায় মাস্ক পড়ছে না, সামাজিক দূরত্ব মানছে না - কিংবা মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনেও আবার সেই দমবন্ধ করা ভিড় হচ্ছে আগের মতোই", তারা সবাই প্রায় বলছেন এক সুরেই। এই পটভূমিতেই সরকার দেশে চলমান টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের ভেতর দৈনিক অন্তত ৫০ লক্ষ ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য সুনীলা গর্গ মনে করছেন, কয়েক মাস আগের স্ট্র্যাটেজিতে ফিরে যাওয়াই এখন একমাত্র পথ। ড: গর্গ বলছেন, "সাধারণ মানুষের ব্যবহার সবার আগে পাল্টাতে হবে। আক্রান্ত এলাকাগুলোয় যে ক্লাস্টার কনটেইনমেন্ট স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছিল, সেখানে আবার ফিরে যেতে হবে।" "এটা তো ঠিকই যে গোটা দেশে টেস্টিংয়ের সংখ্যা, কনট্যাক্ট ট্রেসিং খুব কমে গিয়েছিল, সেটা আবার বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যত বেশি সম্ভব টিকাকরণ চালিয়ে যেতে হবে।" কলকাতাতেও নিয়মিত বাস পরিষেবা চালু হয়ে গেছে কিন্তু এই যে হঠাৎ করে আবার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তার পেছনে কারণটা কী হতে পারে? অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের সাবেক অধিকর্তা ড: শম্পা মিত্র বিবিসিকে বলছিলেন, "একটা কারণ হতে পারে আত্মতুষ্টি। অনেকদিন ধরে নানা সাবধানতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর মানুষের মধ্যে হয়তো একটা শিথিলতা চলে এসেছে।" "অন্য কারণটা হতে পারে মিউট্যান্ট ভেরিয়্যান্ট। হয়তো কোভিড-১৯ নিজেকে মিউটেট করে নতুন চেহারায় আঘাত হানছে। "কিন্তু সেটা নির্দিষ্টভাবে বলার আগে নতুন রোগীদের প্রোফাইল, বয়স, কোমর্বিডিটি আছে কি না, তারা পরিযায়ী শ্রমিক কি না, বিদেশ থেকে এসেছেন কি না এসব দেখতে হবে, ভাইরাসের চরিত্র বুঝতে হবে।" এগুলো নির্দিষ্টভাবে জানার আগে তিনিও বর্তমান প্রবণতাকে সেকেন্ড ওয়েভ বলতে রাজি নন। নয়ডাতে টিকা নেওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্ষীয়ান চিকিৎসক কে কে আগরওয়াল আবার বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে দেখছেন। তিনি বলছেন, "মানুষ আর যে কোনও নতুন ভাইরাসের মধ্যে একটা বুদ্ধির লড়াই চলে। মানুষ শরীর থেকে ভাইরাসকে তাড়াতে চায়, আর ভাইরাস চায় জেঁকে বসতে।" "এখানেও কোভিড বলছে মানুষের শরীরে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি বা সি থাকতে পারলে আমি কেন পারব না?" সেই লড়াইয়ের ওঠাপড়ায় ভারতে আপাতত কোভিডের জেতার রাউন্ড চলছে বলেই ড: আগরওয়ালের অভিমত। আর মুখে 'সেকেন্ড ওয়েভ' কথাটা উচ্চারণ না-করলেও সরকারের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে সেই দ্বিতীয় ধাক্কা ঠেকানোর চেষ্টাতেই। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: | Spain is taking new measures to cut a spike in coronavirus cases, amid fears of a more widespread "second wave". |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | জেফ্রি স্যাক্স বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন মহামারির পর "নেতৃত্ববিহীন এক বিশ্বে বিশাল একটা টালমাটাল পরিস্থিতির" দিকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন দুই পরাশক্তির মধ্যে মতভেদ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক মি. স্যাক্স আমেরিকা ও চীনের মধ্যে এই বৈরিতার জন্য আমেরিকান প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। বিবিসির এশিয়া বিজনেস ইউনিটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "আমেরিকা বিভাজন সৃষ্টিকারী একটা শক্তি, সহাযোগিতার নয়।" "চীনের সাথে নতুন করে একটা শীতল যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে আমেরিকা। এটা যদি কাজ করে, যদি এটাই তাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে আমরা কখনই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে যাব না। বরং এর থেকে আরও গভীর মতবিরোধের পরিস্থিতি এবং আসলেই বিশাল একটা বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হবে।" উত্তেজনা বাড়ছে মি. স্যাক্স এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এমন এক সময়ে যখন চীন ও আমেরিকার মধ্যে শুধু বাণিজ্য নিয়ে নয়, বরং অনেক বিষয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। এ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি আইনে সই করেছেন যাতে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম নিপীড়নের জন্য দায়ী চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার একটা উপায় হিসাবে চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়াকে উৎসাহিত করেছে বলে তিনি মনে করেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: বিপজ্জনক চেহারা নিচ্ছে চীন-মার্কিন বৈরিতা, পরিণতি কী? বিশ্বে কি নতুন আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হলো? করোনাভাইরাস নিয়ে চীন-আমেরিকা লড়াই আমেরিকা তার আক্রমণের একটা লক্ষ্যবস্তু করেছে বিশাল চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়েইকে। ট্রাম্প প্রশাসন চীনা কোম্পানিগুলোকেও তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছেন, বিশেষ করে চীনের বিশাল টেলিযোগাযোগ সংস্থা হুয়াওয়ে। আমেরিকান প্রশাসনের বক্তব্য চীন আমেরিকার ভোক্তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য এই সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে। চীনা কর্তৃপক্ষ এবং হুয়াওয়ে এই দাবি অস্বীকার করেছে তবে চীন এবং হুয়াওয়ের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই কঠোর মনোভাব তার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার জিতে আসার একটা রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে- অন্তত তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের যে নতুন বই নিয়ে এখন তুমুল আলোড়ন চলছে- তাতে মি. বোল্টন তেমনটাই উল্লেখ করেছেন। কী আছে এই বইয়ে। পড়তে পারেন বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে দশটি মারাত্মক দাবি অধ্যাপক স্যাক্সও এ বিষয়ে একমত যে, হুয়াওয়েকে লক্ষ্য করে আমেরিকা শুধু সাদাসিধে নিরাপত্তা উদ্বেগ থেকে কড়া কড়া মন্তব্য করেনি। ব্যাপারটা অত সহজ নয়। "আমেরিকা ফাইভ-জি প্রযুক্তির দৌড়ে হেরে গেছে, নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ হল ফাইভ জি। আর এক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ক্রমশই বিশ্ব বাজার দখল করে নিয়েছে। " "আমার মতে, হুয়াওয়ে বিশ্বের জন্য একটা হুমকি- আমেরিকার এই বক্তব্য বানোয়াট। আমেরিকা তার মিত্রদেশগুলোকে এটা বোঝাতে উঠেপড়ে লেগেছিল, যাতে তারা হুয়াওয়ের সাথে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়," বলছেন অধ্যাপক জেফ্রি স্যাক্স। উত্তেজনার চরম পর্যায় তবে চীন শুধু যে আমেরিকার সাথেই সংঘাতে জড়িয়েছে তা নয়। এখন ভারত চীন সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে মারত্মক সীমান্ত সংঘাতে অন্তত বিশ জন ভারতীয় সৈন্য মারা গেছে। চীন ইতোমধ্যেই পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলংকা এবং নেপালে বড় বড় অর্থকরী প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা করছে। আর এই সবগুলো দেশই ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্র। চীন যেভাবে ওই অঞ্চলে তার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যেটা পাকিস্তানকে বাদ দিলে একসময় ভারতেরই কুক্ষিগত ছিল, সেটা অবশ্যই ভারতের জন্য আশংকার। মি. স্যাক্স স্বীকার করছেন যে, এশিয়ায় ভারতের প্রতিবেশি দেশগুলোর জন্যও চীনের এই উত্থান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে, যদি না তারা এই আশংকা দূর করার চেষ্টা করে যে, তারা শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতার পথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চাইছে। "আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, এমন একটা সত্যিকার আশংকা দূর করার জন্য চীন উদ্যোগ নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি কিনা- আমি বলব হ্যাঁ," বলছেন মি. স্যাক্স। "আসলে বিষয়টা কিন্তু পুরো চীনের হাতে। চীন যদি সহযোগিতা করে, চীন যদি কূটনীতি, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বহুপাক্ষিকতায় অংশগ্রহণ করে, অন্য কথায়- চীন যেহেতু খুবই শক্তিশালী একটা রাষ্ট্র এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী একটা শক্তি হিসাবে চীন নিজেকে দেখে- আমার মনে হয়- এশিয়ার জন্য সেটা একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে আসবে।" | The deepening cold war between the US and China will be a bigger worry for the world than coronavirus, according to influential economist Jeffrey Sachs. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | গত কয়েকদিনের মধ্যে পাঞ্জাবে অন্তত ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে তরণ-তারাণ, অমৃতসর আর গুরদাসপুর জেলা থেকে। মৃত্যু সবথেকে বেশি হয়েছে তরণ-তারাণ জেলায়। জুলাইয়ের ২৯ তারিখ থেকে ভেজাল মদের মৃত্যুর খবর আসা শুরু হয়। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিষাক্ত মদে মৃত্যুর ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আবগারি দপ্তরের ৬ জন আর ৬ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন। বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার সাথে জড়িতদের আটক করতে শনিবার পাঞ্জাবে ১০০'র বেশি অভিযান চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। বুধবার রাতে অমৃতসরের মুছাল গ্রাম থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। শুক্রবার রাতে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৩৮ জনে আর শনিবার রাতে জানা যায় যে বিষাক্ত মদ পান করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮ জনের। সরকারি কর্মকর্তারা এখন হিসাবও দিতে পারছেন না যে আসলে কত মানুষ ওই মদ পান করে হাসপাতালাতে ভর্তি আছেন। স্থানীয়ভাবে পাওয়া খবর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বিপুল আয়তনে উৎপাদিত অবৈধ মদ রাস্তার পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়, যা পরে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে ধাবাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে বিষ মদ তৈরির মূল উপাদান 'লাহান' জব্দ করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবারই এমন একটি খবর এসেছিল যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে স্যানিটাইজার পান করে দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের অনেক জায়গাতেই অবৈধভাবে তৈরি করা মদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অবৈধভাবে তৈরি মদগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের মদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দামের হয়ে থাকে। অবৈধ মদ উৎপাদনকারীরা অনেকসময় মদের সাথে মেথানল মিশিয়ে থাকে, যেটি অ্যালকোহলের একটি অত্যন্ত বিষাক্ত রূপ। মেথানল কম পরিমাণ গ্রহণ করলেও এর ফলে যকৃতের পচন থেকে শুরু করে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ওদিকে বিষাক্ত মদে মানুষের মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশোদগার। বিরোধী শিরোমণি অকালি দল রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের ওপরে দোষ দিচ্ছে। তারা বলছে বিষ-মদ কারবারের সঙ্গে অনেক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জড়িত আছেন। সত্য খুঁজে বার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত না করে হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে বলেও শিরোমণি অকালি দল দাবি তুলেছে। | At least 86 people have died in recent days as a result of drinking illegally-made alcohol, officials in the northern Indian state of Punjab say. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ১৯৪২ সালে ভাইরা ভেকয়া-ফাইবাইরগা, যে কিছুদিন পরেই শরণার্থী শিশুতে পরিণত হয় শুধু তাই নয়, তিনি হলেন সাবেক সোভিয়েত ব্লকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম নারী প্রেসিডেন্টও। তিনি বিবিসিকে বলেন, ''আমার বাবা-মা কখনোই আমাকে ভুলতে দেননি যে, আমি একজন লাটভিয়ান।'' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাল্টিক সাগরের তীরের এই দেশটিতে অভিযান চালায় নাৎসি জার্মানি এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই ১৯৪৪ সালের টুকরো টুকরো স্মৃতি মনে আছে তার, যখন রাশিয়ার কম্যুনিস্ট রেড আর্মি লাটভিয়ায় ঢুকে পড়ে। আরো পড়তে পারেন: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিল ভারত কাশ্মীরে ১৪৪ ধারা, নেতারা গৃহবন্দী, বন্ধ স্কুল কলেজ ডিএনএ নমুনা অন্যের হাতে দিলে যে সমস্যা হতে পরে ওহাইয়ো হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন বন্দুকধারীর বোন ১৯৪১ সালে লাটভিয়ায় প্রবেশ করে জার্মানি এবং সোভিয়েত সৈন্যদের আটক করে ''তাদের লাল পতাকা আর মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখে আমি খুবই অভিভূত হয়ে ছিলাম। একপর্যায়ে তারা যখন মার্চ করে যাচ্ছে, আমিও আমার মুষ্টিবদ্ধ হাত তাদের উদ্দেশ্যে নেড়ে বললাম 'হুররা''', তিনি বলেন। ''একসময় আমি তাকিয়ে দেখলাম একটি ল্যাম্পপোস্টের আড়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার মা, পুরোপুরি বিধ্বস্ত লাগছিল তাকে। তার গাল বেয়ে চোখের পানি পড়তে শুরু করেছিল। তিনি আমাকে বলছেন, ''এরকম করো না। আজ লাটভিয়ার জন্য খুব দুঃখের একটা দিন।'' নিষ্ঠুর শিক্ষা যখন ভাইরার বয়স সাত বছর, তখন তারা প্রথমে লাটভিয়া ছেড়ে বিধ্বস্ত জার্মানিতে যায়। এরপর তারা ফরাসি নিয়ন্ত্রিত মরক্কোয় যায়, তারপরে কানাডায়। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সে আর লাটভিয়ায় ফিরতে পারেনি। তবে ৬০ বছর বয়সে তিনি যখন ফিরলেন, তার আট মাসের মাথায় তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হন। জার্মানিতে ১৯৪৯ সালে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে অন্য শিশুদের সঙ্গে ভাইরা (গোল চিহ্ন অঙ্কিত) ভাইরা স্মৃতিচারন করেন, ১৯৪৪ সালের দিকে তারা বাবা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস শুনতেন, বোঝার চেষ্টা করতেন যে যুদ্ধ কোন দিকে গড়াচ্ছে। পরের বছর তাদের পরিবার লাটভিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ''১৯৪৫ সালের নববর্ষের রাতে আমরা একটি জাহাজে উঠে বসলাম। এটা ছিল সৈন্যদের পারাপার করার জাহাজ, সেই সঙ্গে অস্ত্রপাতিও থাকতো। যদি কোন টর্পেডো জাহাজটিতে আঘাত করতো, তাহলে পুরো জাহাজটি বিস্ফোরিত হয়ে যেতো।'' ''তারা বেশ কিছু বেসামরিক লোকজনকেও জাহাজে নিতো, যারা কম্যুনিজম থেকে যেকোনো মূল্যে পালাতে চাইতো। জাহাজে থাকা লাটভিয়ানরা ডেকে জড়ো হয়ে লাটভিয়ার জাতীয় সঙ্গীত গাইতো।'' জার্মানি জুড়ে যেসব শরণার্থী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে এসে পৌঁছায় পরিবারটি। সেখানকার পরিবেশ ছিল খুবই দুর্দশাজনক। তাঁর ১০ মাস বয়সী শিশু বোনটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। একবছরের মধ্যে ভাইরার আরেকটি ভাই আসে পৃথিবীতে। তবে সেই আনন্দের ঘটনা ছাপিয়ে জীবনের একটি কর্কশ শিক্ষা পান সেদিন। ''আমার মায়ের সঙ্গে সেই রুমে আঠারো বছরের এক তরুণী একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু সে শিশুটিকে নিতে চায়নি। এমনকি সে তার কোন নামও রাখতে চায়নি, শিশুটির কোন ব্যাপারেই সে আর জড়াতে চায়নি, কারণ রাশিয়ার সৈন্যদের গণ ধর্ষণের ফলে ওই শিশুটির জন্ম হয়েছিল।'' ''প্রত্যেকবার যখন সেবিকারা অসহায় শিশুটিকে তার কাছে নিয়ে আসছিল, সে তার চেহারা দেয়ালের দিকে নিয়ে কাঁদছিল আর কোন কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানাচ্ছিল। সেবিকারা শিশুটির নাম দেয় মারা, আমার বোনের নামও ছিল তাই।'' তিনি বলছেন, ''আমার মনে হলো, এটা সত্যিই অন্যায়। এখানে একজন মারার জন্ম হয়েছে যাকে এই পৃথিবীতে কেউ চায় না। আর আমাদের মারাকে আমরা এতো বেশি চাইতাম, কিন্তু তাকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়েছে। আমি বুঝতে শুরু করলাম, জীবন আসলেই খুবই রহস্যময় এবং পুরোপুরি ন্যায্য নয়।'' মরক্কোয় থাকার সময় সময় ভাইরা, তখন তার বয়স ১১ বছর বাল্যবিয়ে ভীতি ১১ বছর বয়সের সময় ভাইরাকে আবার স্থানান্তরিত হতে হয়। এবার জার্মানি থেকে ফরাসি নিয়ন্ত্রিত মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায়। ''মধ্যরাতে ট্রাক থেকে আমাদের যেখানে নামিয়ে দেয়া হলো, সেটা ছিল ছোট একটি অস্থায়ী গ্রাম। কিন্তু সেটা ছিল যেন পুরো বিশ্বের একটা সংক্ষিপ্ত রূপ।'' ''সেখানে ফরাসি লোকজন ছিল, বিশ্বের সবদেশের মানুষ ছিল। গৃহযুদ্ধের সময় থেকে থাকা স্প্যানিশ লোকজন, ইটালিয়ান এবং রাশিয়ান, সব ধরণের মানুষ ছিল।'' তার পিতার একজন সহকর্মী বললেন, তিনি ভাইরাকে বিয়ে করতে চান, যদিও ভাইরা তখন শিশু। ''বাবা একদিন বাসায় ফিরে বললেন, সে আমাকে ১৫ হাজার ফ্রাঙ্ক যৌতুক দিকে চায়। সে আমাকে প্রথম দুইটা গাধা আর গরুও দিতে চেয়েছে। কিন্তু বাবা তাকে বলেছেন, সে একটি শিশু এবং তার স্কুলে যেতে হবে। তখন ওই ব্যক্তি বলছেন, ঠিক আছে, তাকে আমরা স্কুলে যেতে দেবো।'' তার বাবা-মা দুজনে হেসে উঠলেন। কিন্তু ভাইরা সতর্ক হয়ে উঠলেন। লিঙ্গ বৈষম্যের অধ্যাপক এর কিছুদিন পরে ভাইরার পরিবার কানাডায় চলে যায়। ষোল বছর বয়সে ভাইরা একটি ব্যাংকে চাকরি পেলেন। সেই সঙ্গে তিনি নাইট স্কুলে যেতে শুরু করলেন। এরপরে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোতে পড়ার সুযোগ পেলেন। ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টোতে ভাইরা, ১৯৫৭ সালে সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হলো এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে, যাকে পরবর্তীতে তিনি বিয়ে করেন। ইমান্টস ফ্রাইবার্গা লাটভিয়া থেকে পালিয়ে আসা আরেকজন। মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা করে ১৯৬৫ সালে পিএইচডি করতে শুরু করেন ভাইরা। কিন্তু ভাইরা বলেন, তার বেছে নেয়া বিষয়টি ছিল যেন ভাগ্যের অঙ্গুলি হেলনে নির্ধারিত একটি বিষয়। ''সম্ভাব্য বিষয়গুলোর একটি তালিকা ছিল রেজিস্টারের কাছে। আমি সেটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে দেখলাম এবং একটি লম্বা শব্দ দেখতে পেলাম যেটা শুরু হয়েছে পি দিয়ে এবং শেষ হয়েছে ওয়াই দিয়ে। আমি বললাম, এই বিষয়টি আমি নিতে চাই।'' কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তিনি বুঝতে পারলেন, নারীদের এখনো পুরোপুরি স্বাগত জানানো হয় না। ''একদিন আমাদের অধ্যাপক একটি সেমিনারে বললেন, আমাদের এখানে তিনজন বিবাহিত নারী রয়েছেন যারা পিএইচডি করছেন। এটা আসলে পুরোপুরি অপচয়, কারণ যারা বিয়ে করবে, সন্তান জন্ম দেবে তারা এমন একটি জায়গা দখল করে আছে যেটি একটি ছেলে পেতে পারতো যে হয়তো সত্যিকারের একজন বিজ্ঞানী হতে পারতো।'' ''ওই সেমিনারে থাকা আমরা সব মেয়েরাই সারা জীবন ধরে সেই কথাগুলো মনে রেখেছি।'' তিনি বলেন, তারা ওই লিঙ্গ বৈষম্য করা অধ্যাপককে দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, তার পছন্দের ছেলেদের তুলনায় নারীরা আরো ভালো কিছু করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিয়লে ৩৫ বছর কাজ করেছেন ভাইরা। তিনি পাঁচটি ভাষায় কথা বলতে পারেন এবং ১০টি বই লিখেছেন। শ্রেণীকক্ষে অধ্যাপনা করছেন ভাইরা, ১৯৭৮ সাল বাড়িতে প্রত্যাবর্তন...চূড়ান্তভাবে ১৯৯৮ সালে যখন ভাইরার বয়স ৬০ বছর, তিনি প্রফেসর এমেরিটাস নির্বাচিত হলেন এবং অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু একদিন বিকালে তার টেলিফোন বেজে উঠলো। ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী। লাটভিয়ার একটি নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে কাজ করার প্রস্তাব পেলেন ভাইরা। তাকে বলা হলো, ''তারা বিদেশে থাকা এমন কাউকে খুঁজছে, যিনি অনেকগুলো ভাষায় কথা বলতে পারেন, পশ্চিমা মানসিকতা বুঝতে পারেন এবং সেই সঙ্গে লাটভিয়ার সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে।'' কিন্তু তখনই যেন দেখতে পেলেন যে, তিনি লাটভিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে গেছেন। দেশে ফেরার আটমাস পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য কানাডিয়ান পাসপোর্ট ত্যাগ করলেন ভাইরা। তিনি নির্বাচিত হলেন লাটভিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসাবে। ২০০৩ সালে স্বামী আইম্যান্টস ফ্রাইবার্গের সঙ্গে ভাইরা, যখন তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিচ্ছেন একপর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা গিয়ে ঠেকেছিল ৮৫ শতাংশে। ''আমি ছিলাম এমন কেউ, যিনি অর্থ রোজগার বা অন্য কিছুর জন্য নয়, বরং শুধুমাত্র দায়িত্ব পালন করার জন্য। এই পদে এসেছিল।'' ''তখন অনেক সংবাদ মাধ্যম আগ্রহের সঙ্গে সমালোচনা করার চেষ্টা করছিল যে, আমি হচ্ছি খরুচে স্বভাবের, পশ্চিমে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেছি। কিন্তু এগুলো পুরোপুরি বানানো'' তিনি বলেন। ''আমি আবিষ্কার করলাম, আপনি যদি গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করতে না পারেন, তাহলে আপনাকে জনগণের কাছে সরাসরি গিয়ে কথা বলতে হবে।'' ২০০৪ সালে নেটো আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে লাটভিয়ার যোগদানের পেছনে তিনি মূল ভূমিকা রেখেছেন। ইস্তানবুলে নেটো সম্মেলনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সঙ্গে ভাইরা ভেকয়া-ফ্রাইবাইরগা ইস্তানবুলে নেটো সম্মেলনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সঙ্গে ভাইরা ''নারী হওয়ার অনেক সুবিধা আছে। আমার মনে পড়ছে, ইস্তানবুলে নেটো সম্মেলনের সময় প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আমার বাহু ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন, কারণ আমি হাই হিল পড়েছিলাম আর মেঝে ছিল পিচ্ছিল, আমরা আস্তে আস্তে হাঁটছিলাম।'' ''আমি সাধ্যমত সবকিছুই করেছিলাম। তাকে বলেছিলাম নেটোর বিস্তৃতি করা কতটা দরকার এবং লাটভিয়া যেন সেখানে থাকে।'' ''আমরা আস্তে আস্তে হাঁটছিলাম এবং সময়টা উপভোগ করছিলাম এবং তার কানে লাটভিয়ার প্রপাগাণ্ডা দেয়ার জন্য সবকিছুই করছিলাম। আমার মনে হয়নি এতে তার খারাপ লেগেছে',' তিনি বলছেন। ভাইরার দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালে, তার ৭০তম জন্মদিনের কয়েকমাস আগে। তিনি ক্লাব ডি মাদ্রিদ নামের একটি সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, যেটি সাবেক নেতাদের নিয়ে গঠিত। এই সংগঠন গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এবং গর্ভন্যান্স নিয়ে কাজ করে। নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়েও তার বিশেষ নজর রয়েছে। সেই অধ্যাপকের মন্তব্য এখনো তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তিনি জানেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার এখনো অনেক বাকি আছে। | The little girl who fled from war-torn Latvia spent more than 50 years in exile - but soon after returning she became president. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে ক্ষমার এই ঘোষণা এলো। হোয়াইট হাউজের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবমিলিয়ে ৭৩ জনকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৭০ জনের সাজা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের জন্য তিনি কোন ক্ষমা ঘোষণা করেননি। ক্ষমা ঘোষণার ব্যাপারটি হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জন্য একটি নিয়মিত ঘটনা। ক্ষমা ঘোষণা করা হলে তার বিরুদ্ধে থাকা সকল ফৌজদারি সাজা বাতিল হয়েছে যায়। অন্যদিকে তিনি কারাদণ্ড কমিয়েও দিতে পারেন। ফেডারেল মামলার ক্ষেত্রে ক্ষমা করার জন্য প্রেসিডেন্টের অসীম ক্ষমতা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অনেকের জন্যই ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নির্বাচনী প্রচারণা ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্ট, দীর্ঘদিনের সহযোগী রজার স্টোন এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের পিতা চার্লস। আরও পড়তে পারেন: হোয়াইট হাউজ থেকে আজ বিদায় নেবেন ট্রাম্প, শুরু হবে বাইডেন পর্ব বাইডেনের শপথের দিন সৈনিকদের নিয়ে ভয়, দেখা হচ্ছে অতীত জো বাইডেন: আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক জীবন দুই রানিং মেট: কমালা হ্যারিস ও মাইক পেন্স অ্যান্থনি লেভানডোস্কি ছিলেন গুগলের সাবেক প্রকৌশলী, যিনি প্রতিষ্ঠানের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি সংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্য চুরি করার কথা স্বীকার করেছিলেন। উল্লেখযোগ্য যে ব্যক্তিদের ক্ষমা করা হয়েছে: স্টিভ ব্যানন: তিনি ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় অন্যতম প্রধান কৌশলবিদ এবং উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার জন্য তহবিল সংগ্রহে প্রতারণার অভিযোগে গত বছরের অগাস্ট মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন, আরও তিনজনের সঙ্গে মিলে মি. ব্যানন তহবিল থেকে লাখ লাখ ডলার সরিয়েছেন। তি নি নিজে অন্তত এক মিলিয়ন ডলার নিয়ে ব্যক্তিগত খরচ মিটিয়েছেন। তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লিল ওয়েইন: তার আসল নাম ওয়েইন কার্টার। গত বছর অস্ত্র সংক্রান্ত ফেডারেল অভিযোগে তার সাজা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অপরাধী সংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। কোডাক ব্ল্যাক: তার আসল নাম বিল কে কাপরি, তার বিরুদ্ধেও অস্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। তার তিন বছর ১০ মাসের সাজা হয়েছিল। কাওমি কিলপ্যাট্রিক: ডেট্রয়েটের সাবেক মেয়র মি. কিলপ্যাট্রিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তার ২৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকার সময় চাঁদা ও ঘুষ গ্রহণ, হুমকি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অ্যান্থনি লেভানডোস্কি: ১৮ মাসের সাজা থেকে পূর্ণ ক্ষমা পেয়েছেন মি. লেভানডোস্কি। তিনি ছিলেন গুগলের সাবেক প্রকৌশলী, যিনি প্রতিষ্ঠানের স্বয়ংক্রিয় গাড়ি সংক্রান্ত প্রকল্পের তথ্য চুরি করার কথা স্বীকার করেছিলেন। ক্ষমার ঘোষণায় বলা হয়েছে, "তার কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি যথেষ্ট মূল্য দিয়েছেন এবং মানুষের ভালোর জন্য তিনি নিজের মেধা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন।'' রিক রেনজি: অ্যারিজোনা থেকে নির্বাচিত রিপ্রেজেন্টেটিভ রিক রেনজি ২০১৩ সালে চাঁদাবাজি, ঘুষ গ্রহণ, বীমা জালিয়াতি, অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই বছরের নজরদারি আর ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছিল। এলিয়ট ব্রোডি: তিনি রিপাবলিকান তহবিল সংগ্রহকারী, যিনি চীনা এবং মালয়েশিয়ান স্বার্থে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে লবিং করার জন্য তহবিল গ্রহণ করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে ঠিক যা যা ঘটবে টিকা দেয়ার জন্য চারটি হাসপাতাল নির্বাচিত, কুর্মিটোলা থেকে শুরু ওয়াজ ইস্যুতে সরকারকে উকিল নোটিশ এবং এক মুফতির ব্যাখ্যা বৃদ্ধাকে নগ্ন করে নির্যাতন, গৃহকর্মীকে ধরতে অভিযান চলছে | In the final hours of his presidency, Donald Trump has pardoned 73 people, including his former adviser Steve Bannon, who is facing fraud charges. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে যে ছয়টি কুকুর: উপরে বাম দিক থেকে - ডিগবি, জ্যাসপার এবং স্টর্ম; এবং নিচে বাম দিক থেকে অ্যাশার, স্টার আর নরমান ইংল্যান্ডের মিলটন কিন্স নামে একটি শহরে ছয়টি কুকুরকে রোগ নির্ণয়কারী কুকুর হিসাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ড. ক্লেয়ার গেস্ট বলছেন আগে থেকে তারা ইঙ্গিত পেয়েছিলেন যে এই কুকুরগুলোর গন্ধ শুঁকে ভাইরাস ধরতে পারার ক্ষমতা আছে। এর আগে তিনি কুকুরকে গন্ধ শুঁকে ম্যালেরিয়া, ক্যান্সার এবং পারকিনসন রোগ ধরার কাজে প্রশিক্ষণ দেন। অ্যাশার খুবই চালাক চতুর কুকুর। কিন্তু তার অতি উৎসাহের কারণে তাকে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত করতে হয়। এখন সে ড. ক্লেয়ার গেস্টের সাথে কাজ করছে। "এই গবেষণার কাজ খুবই সন্তোষজনকভাবে এগোচ্ছে এবং আমরা খুবই ইতিবাচক ফল দেখতে পাচ্ছি," বলেছেন ড. গেস্ট। তিনি বলছেন এই কুকুরগুলোর ঘ্রাণ অনুভূতি খুবই প্রখর। নরমান, ডিগবি, স্টর্ম, স্টার, জ্যাসপার, আর অ্যাশার - এই ছয়টি কুকুরকে লন্ডনের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের মোজা এবং ফেস মাস্ক থেকে ভাইরাসের গন্ধ শোঁকার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারা আশা করছেন আগামী সপ্তাহে ৩,২০০টি নমুনা তারা আনতে পারবেন। বিজ্ঞানীরা দেখবেন কোনগুলোর মধ্যে ভাইরাস আছে। এরপর কুকুরগুলোকে বলা হবে সেগুলোর মধ্যে থেকে পজিটিভ নমুনাগুলো শনাক্ত করতে। দেখা হবে তারা পজিটিভ আর নেগেটিভ আলাদা করতে পারছে কিনা এবং প্রশিক্ষকদের পজিটিভ নমুনাগুলো সম্পর্কে সতর্ক করতে পারছে কিনা । ড. ক্লেয়ার গেস্ট-এর বাসায় তার সঙ্গে থাকে অ্যাশার যে এই ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও তার সাথে থাকে ফ্লোরিন যে প্রস্টেট ক্যান্সার ধরতে পারে এবং টালা যে ধরতে পারে ই. কোলাই ভাইরাস ড. গেস্ট বলছেন অ্যাশার নামে তার কুকুরটি প্রশিক্ষণে "মাত্রাতিরিক্ত " ভাল ফল দেখাচ্ছে। এই ককার স্প্যানিয়েল প্রজাতির কুকুরটি খুবই দক্ষ এবং চালাক। "সে ইতোমধ্যেই শিখে গেছে কীভাবে ম্যালেরিয়া এবং পারকিনসনস রোগ শনাক্ত করতে হয়। কাজেই আমরা জানি এ কাজে অ্যাশার খুবই দক্ষতার পরিচয় দেবে। প্রশিক্ষণের সময় অ্যাশার নির্ভুলভাবে ঘ্রাণ চিহ্ণিত করতে পারছিল," তিনি বলেন। "অ্যাশার আমি বলব এ ব্যাপারে সবার আগে আছে। স্টর্মও এ কাজে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। সেও বেশ চটপটে এবং কাজটা বেশ উৎসাহ নিয়ে করছে।" প্রাথমিক প্রশিক্ষণের আট সপ্তাহ পর এই কাজে সফল কুকুরগুলোকে নিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। তখন তাদের একেবারে লাইভ পরিস্থিতিতে ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ করতে দেয়া হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার পরিবেশে নয়, একেবারে মানুষের মধ্যে তাদের ছেড়ে দিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ দেয়া হবে। ড. গেস্ট এবং তার সঙ্গে যারা প্রশিক্ষণের কাজ করছেন তারা আশা করছেন, এই প্রকল্প সফল হলে তা আরও বিস্তৃত করা হবে এবং শনাক্তকারী কুকুরগুলো প্রতি ঘন্টায় ২৫০ ব্যক্তির ঘ্রাণ নিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ করবে। তাদের সম্ভবত বিমানবন্দরে কাজে লাগানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। টেস্টিং কেন্দ্রগুলোতেও তারা কাজ করতে পারবে। এই ট্রায়াল বা পরীক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকার ৫ লাখ পাউন্ড অর্থ ব্যয় করেছে এবং লন্ডনের স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসেন এবং ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই প্রকল্পে কাজ করছেন। বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন: কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কী? করোনায় সুস্থ হওয়ার পর কি স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা ও ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাওয়া যায়? দেহে অ্যান্টিবডি না থাকলেও কি সংক্রমণ ঠেকাতে পারেন? করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? তিন বছর বয়সী কুকুর স্টর্ম ভালবাসে খেলাধুলা, সূর্যস্নান এবং আদর -কাড়া। ২০ মাস বয়সী ডিগবি- নরম সরম কুকুর কিন্তু খুব চটপটে। আলসেমিও তার প্রিয়। ড. গেস্ট ২০০২ সালে কুকুরকে ঘ্রাণের মাধ্যমে ক্যান্সার নির্ণয় করার প্রশিক্ষণ দেন। এবং ২০০৮ সালে তিনি এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। এর এক বছর পর, তার লাল লোমওয়ালা ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুর ডেইজি হঠাৎ ড. গেস্টের বুকে থাবা ঘষতে শুরু করে। ডেইজিকে আগে মূত্রাশয় ও প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। ডাক্তাররা এরপর পরীক্ষা করে দেখেন ড. গেস্টের স্তন ক্যান্সার হয়েছে। তার টিউমার স্তনের এত গভীরে হয়েছিল যে ডেইজি তাকে আগাম সতর্ক না করলে তা এত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। "আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি জানি এই কুকুরগুলো কত চালাক এবং দক্ষ। তারা ঠিক জানে তাদের কী করতে বলা হচ্ছে এবং ঠিক সেই কাজটাই করার জন্য তারা নিজেদের তৈরি করেছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই কুকুরগুলো সাহায্য করতে পারবে বলে আমি খুবই আশাবাদী," বলেন ড. গেস্ট। | A trial to see whether dogs can detect coronavirus is going "very well", according to the charity behind it. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ইউরোপের ১১টি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে ইউরোপের কয়েকটি দেশে এই টিকা দেয়ার পর ব্লাড ক্লট বা শরীরে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ সময়ে এ ধরণের যত ঘটনা ঘটে এই সংখ্যা তার চেয়ে অস্বাভাবিক নয়। ইউরোপের ওষুধ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সিও আজ বৈঠক করবে। বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিষয়ে বৃহস্পতিবার একটি সিদ্ধান্ত জানাবে সংস্থাগুলো। ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের ১৭ মিলিয়ন মানুষকে এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, এর মধ্যে ৪০টির কম ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। আরো পড়তে পারেন: অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিরাপদ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই চলবে কোভিড-১৯: বাংলাদেশে টিকায় আগ্রহ বাড়ার কয়েকটি কারণ সাতটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা স্থগিতের পর যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে কোম্পানি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন অপ্রমাণিত এই দাবির সঙ্গে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেনসহ ইউরোপের ১১টি দেশে এই টিকাটি প্রদান স্থগিত করার যোগসূত্র থাকতে পারে। অস্ট্রিয়াসহ কয়েকটি দেশে সতর্কতা হিসেবে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যাচের টিকা প্রদান বন্ধ রেখেছে। কিন্তু বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং ইউক্রেন জানিয়েছে তারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এদিকে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচাকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে দেশটিতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছিল। তিনি এবং তার মন্ত্রীসভার সদস্যদের শুক্রবারে দ্বিতীয় ডোজ দেবার কথা, কিন্তু ইউরোপে কয়েকটি দেশে টিকাদান স্থগিত করার পর থাই কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মসূচী থামিয়ে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি বলছে? রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনাগুলো ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে হয়েছে এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন এমনটা ঘটছে সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন নিশ্চিত তথ্য ও প্রমাণ পাওয়ার সাথে সাথে জনগণকে জানিয়ে দেবে বল জানান ওই কর্মকর্তা। ইউরোপের ওষুধ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইএমএ'ও এই মূহুর্তে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঘটনা পর্যালোচনা করছে। সংস্থাটি বলছে, টিকা প্রদান চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ইএমএ আরো বলছে, টিকার উপকারিতার তুলনায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনা এখনো অনেক কম। যুক্তরাজ্যের ওষুধ বিষয়ক সংস্থা বলছে, ভ্যাকসিন দেয়ার কারণে রক্ত জমাট বেধেছে, সে বিষয়ে প্রমাণ মেলেনি, এবং দেশটির নাগরিকদের যথাসময়ে টিকা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কী বলছে? অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, টিকা দেয়ার ফলে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এমন কোন প্রমাণ নেই। সংস্থাটি বলছে, পুরো ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্য মিলে যারা টিকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ডিপ-ভেইন থ্রম্বোসিস ডিভিটি—মানে শিরায় রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার মোট ১৫টি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পালমোনারি এম্বোলিজম---মানে যেখানে জমাট বাধা রক্তের কণিকা ফুসফুসে চলে যাবার ২২টি ঘটনা ঘটেছে। এই মূহুর্তে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা পৃথিবীর ৭০টি দেশে দেয়া হচ্ছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হচ্ছে ৬৫টি দেশে। মর্ডানার টিকা দেয়া হচ্ছে ৩২ টি দেশে এবং সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে ১৯টি দেশে। এছাড়া রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ১৭টি দেশে, চীনের সিনোভ্যাক ১১টি দেশে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে কী বলছে বাংলাদেশের স্বাস্ব্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''বাংলাদেশ আমরা টিকা স্থগিতের মতো কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছেনি। যে পাঁচ-ছয়টি বা সাতটি দেশে তারা বন্ধ করেছে, তারা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সেটা করেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্য দেশগুলো থেকে লিখিতভাবে কোন বারণ করেনি।'' ''অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় যে উপাদানগুলো রয়েছে, রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। যেহেতু সম্পর্ক নেই, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশে এই কার্যক্রম বন্ধ করতে পারি না। কারণ বাংলাদেশের মতো দেশগুলো শতভাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে চলেছে'', স্বাস্থ্য সচিব বলেন। ''অক্সফোর্ডের যে টিকা আমরা নিয়ে এসেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বলে যে, এটা দেয়া যাবে না, এটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে যদি তারা আমাদের চিঠি দেয়, তাহলে তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা অপেক্ষায় আছি।'' বলছেন মি. মান্নান। | Vaccine safety experts from the World Health Organization (WHO) are meeting on Tuesday to review the Oxford-AstraZeneca jab, after several European countries halted their rollouts. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | বিপ্লব পাল, নৈরিত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। এক্ষেত্রে অনেক সময় কৃষকরা ঐ জমি পরিত্যাগ করতে বা কৃষিকাজ বাদে অন্য ধরণের কাজ খুঁজতে বাধ্য হন। উত্তর-পশ্চিম ভারতের গুজরাটের একজন কৃষক মাধবন বলছিলেন একসময় তাঁর পুরো পরিবারের অন্ন সংস্থান হতো যেই জমিতে কৃষিকাজের মাধ্যমে, সেই জমি এখন লবণের মিহি আস্তরণে আবৃত। মাধবন বলেন, "একসময় যে জমিতে শুধু ঘন সবুজের সমারোহ ছিল, এখন সেটিই মরুভূমির মত।" ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষিজমি এমন মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছে নৈরিতা ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক উদ্যোক্তাদের সংস্থা। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ত্রুপ্তি জৈন আর বিপ্লব খেতান পাল এই সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। বিপ্লব বলেন, "২০০১ সালে গুজরাটের ভূমিকম্পের পর হঠাৎ করে ঐ এলাকার তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং পানিশূণ্যতার সৃষ্টি হয়। এর পরপরই বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয় আর বন্যা হয়। ঐ বন্যার পর মাসের পর মাস জলাবদ্ধতা ছিল যার ফলে কৃষকদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এরপরই আমি এই সমস্যার সমধান খোঁজার চেষ্টা করতে থাকি।" "তখন আমি বুঝতে পারি প্রবল বর্ষণকে কাজে লাগিয়েই আসলে শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।" আরো পড়ুন: তিস্তা নিয়ে নমনীয় হচ্ছেন মমতা? অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সমকামীরা কেমন আছেন? অতিমাত্রায় লবণাক্ত থাকলে মাটির উপরিভাগে একটি আস্তরণ পরতে পারে যা মাটিতে পানি প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে পারে। বিপ্লব ও ত্রুপ্তি বিভিন্ন জলাধারে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা শুরু করেন যেন ঐ পানি শুষ্ক মৌসুমে কাজে লাগানো যায়। "তখনই আমাদের মাথায় ভুঙরুর পরিকল্পনা আসে। এটি মাটির নিচে পানি ধরে রাখার একটি পদ্ধতি। কৃষকরা গ্রীষ্ম ও শীতে ঐ পানি ব্যবহার করতে পারবে", বলেন ত্রুপ্তি। কৃষিজমির মরুকরণ ভারতের গুজরাট ও অন্যান্য অঞ্চলের মাটিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততার জন্য পানি ঢুকতে পারে না এমন সাদা অথবা বাদামী আস্তরণ তৈরী হয়। এর ফলে মাটির উপরিভাগে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিপ্লব বলেন, "এই পানি লবণাক্ত মাটিতে মিশে মাটিতে উপস্থিত খনিজ পদার্থও " প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লক্ষ হেক্টর (২ কোটি ৯০ লক্ষ একর) কৃষিজমি মুরুভূমিতে পরিণত হয়। এসব জমিতে ২ কোটি টন ফসল উৎপাদন করার সুযোগ থাকে। তখন ঐ এলাকায় বসবাসকারী কৃষকদের অন্যত্র চলে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। জাতিসংঘের মরুকরণ প্রতিরোধ সম্মেলনের (ইউএনসিসিডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মরুকরণের প্রভাবে বিশ্বের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের বাসস্থান ও কর্মসংস্থান হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। একটি ভুঙরু দিয়ে ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব। ভুঙরু সেচ প্রকল্প ভুঙরু একটি গুজরাটি শব্দ, যার অর্থ 'নল'। যেসব স্থানে জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েছে সেসব এলাকায় ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের কিছু পাইপ প্রবেশ করানো হয়। বর্ষার সময় অতিরিক্ত পানি এসব পাইপের মধ্যে দিয়ে মাটির নিচের প্রাকৃতিক জলাধার সঞ্চিত হয়। পরে শুষ্ক মৌসুমে এই পানি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বর্ষার সময়ও কৃষকরা ফসল ফলাতে পারেন কারণ মাটি অতিরিক্ত সিক্ত থাকে না। গ্রীষ্মে বা শীতে যখন পানির স্বল্পতা তৈরী হয় তখন পাম্পের মাধ্যমে মাটির নিচে জমা থাকা পানি তুলে সেচকাজে ব্যবহার করা সম্ভব বলে জানান ত্রুপ্তি। একটি ভুঙরু ইউনিটের মাধ্যমে ৮ থেকে ১০ হেক্টর জমিতে সেচকাজ পরিচালনা করা সম্ভব। প্রকল্পের অবস্থান ও ব্যপ্তি বিচারে একটি ভুঙরু প্রকল্প স্থাপন করতে ৭৫০ থেকে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এখন পর্যন্ত ভারতে ও ভারতের বাইরে ৩৫০০ ভুঙরু প্রকল্প স্থাপন করেছে নৈরিতা। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: কৃষিতে ড্রোনের ব্যবহার কি ফসল উৎপাদন বাড়াবে? টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় রেয়াল মাদ্রিদের পৃথিবী যে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে, তার একটি প্রমান হয়তো বিজ্ঞানের নিত্য-নতুন আবিষ্কার। | Erratic rainfall and prolonged dry seasons in many parts of India mean that farmers often have to struggle with waterlogged fields or droughts, which can ruin their crops. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | গালওয়ান ভ্যালি বিশ্বের দুই জনসংখ্যা-বহুল দেশ, যাদের সৈন্যসামন্তের সংখ্যাও পৃথিবীতে অন্যতম বৃহত্তম, তারা কয়েক সপ্তাহ যাবৎ পর্বতচূড়ায় বড় সংঘর্ষের আগে ছোট ছোট বিবাদে জড়িয়েছেন। কিন্তু সংকট চরমে ওঠে যখন একটিও গুলি বিনিময় না করেও ভারতের ২০জন সৈন্য নিহত হন, যদিও চীনের হতাহতের সংখ্যা এখনো প্রকাশ করেনি দেশটি। সংঘাতস্থলটি দুই দেশের মধ্যকার ডি-ফ্যাক্টো সীমান্ত, যাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি বলে। দুই দেশের মধ্যে ৩,৪৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, এবং সীমানা ও ভূখণ্ড নিয়ে পুরনো বিবাদ রয়েছে। বৈরি পরিবেশ এই গালওয়ান উপত্যকার আবহাওয়া অত্যন্ত বৈরি, সেই সাথে এর অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক ওপরে। জায়গাটা এলএসি'র পশ্চিম অংশে আকসাই চিনের কাছে অবস্থিত, চীন-শাসিত ওই বিতর্কিত জায়গার মালিকানা ভারত দাবি করে আসছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দুদেশের সৈন্যরা যে খাড়া শৈল-প্রবাহের ওপর দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করেছেন, কিছু সৈন্য পিছলে খরস্রোতা গালওয়ান নদীতে পড়ে গেছেন, যেখানে পানির তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ১৭জনই গুরুতর আহত ছিলেন, যারা সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ১০ হাজার ফুট উঁচুতে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এদের কেউ কেউ আঘাত নিয়ে হিমশীতল আবহাওয়ায় টিকতে না পেরে মারা গেছেন। লাদাখ ভারতের সবচেয়ে উঁচু মালভূমি এবং শীতল প্রান্তর। শীতকালে যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি হয়ে যায়। সেখানকার পাহাড়ি ঝর্ণা ও জলাভূমি, এবং কিছু ঢাল ও অল্প পরিমাণ সমতল জমি ছাড়া বেশিরভাগ অংশের বালিমাটিতে কোন গাছপালা হয় না। মৃত্যুর কারণ লাদাখের উচ্চতায় মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে ফ্রস্টবাইট বা ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া, চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে হাই-অল্টিচ্যুড পালমোনারি এডিমা বলা হয়। যা মূলত উচ্চতাজনিত কারণে বাতাসে অক্সিজেন কম থাকা এবং প্রবল ঠাণ্ডার কারণে হয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে হাই-অল্টিচ্যুড সেরেব্রাল এডিমা, যা হয় উঁচু এলাকায় ভ্রমণের কারণে শারীরিক প্রতিক্রিয়ার ফলে মস্তিষ্ক থেকে একধরণের জলীয় পদার্থ নিঃসরণের কারণে হয়। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন বৈরি পরিবেশ হবার কারণেই ঐতিহ্যগতভাবে এলএসি'র ওই এলাকাটি শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ১৯৬২ সালের পর হঠাৎ এলাকাটির পরিবেশ মঙ্গলবারের মত প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার কারণ কী? মে মাসে ভারতের একজন সামরিক বিশ্লেষক অজয় শুক্লা বিবিসিকে বলেছিলেন, "গালওয়ান ভ্যালি ক্রমেই হটস্পট হয়ে ওঠার কারণ হচ্ছে, ওখানেই ভারত সম্প্রতি লাদাখের একেবারে প্রত্যন্ত ও নাজুক এলাকায় একটি নতুন রাস্তা বানিয়েছে।" কয়েকশ' কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি ২০১৯ সালে বানানো হয়, এবং সেটিকে মালভূমির ওপরে একটি বিমান ঘাঁটির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। আরো পড়তে পারেন: চীন-ভারত সীমান্ত বিরোধের পেছনে যেসব কারণ চীন-ভারত সংঘাত: কার শক্তি কতটা, কোন্ দেশ কার পক্ষ নেবে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের জন্য পরষ্পরকে দুষছে ভারত ও চীন ‘লাদাখে প্রায় ষাট কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীন, তবু মোদী কেন চুপ?’ চীনা সৈন্যরা ঢুকে পড়েছে, বলার পরও অস্বীকার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখের প্যানওঙ সো লেক দাউলাত বেগ ওল্ডির ওই বিমানঘাঁটিটিকেও নতুন করে চালু করা হয়, এই বিমানঘাঁটিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থানরত বিমানঘাঁটি। ভারতের এই স্থাপনার ব্যাপারে শুরু থেকেই চীন সন্দিহান, বেইজিং এর সন্দেহ ওই রাস্তা দিয়ে দিল্লি সহজেই সীমান্ত এলাকায় সৈন্য এবং মালামাল পাঠাতে পারবে। মে মাসে ওই এলাকায় সীমান্তের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে চীনা সৈন্যবহর তাঁবু খাটায়, পরিখা খনন করে এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র এনে জড়ো করে। সেই সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবারের প্রাণহানির পর এই মুহূর্তে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজছেন। | A savage brawl between Indian and Chinese forces in the Galwan river valley in Ladakh, a disputed Himalayan border region, has left at least 20 Indian soldiers dead. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | হাজত থেকে উকি দিচ্ছেন সামহি। রাতে তাকে বাধ্যতামূলক থানার হাজতে ঘুমাতে হয়। কারণ আদালতের আদেশে আগামী কমপক্ষে পাঁচ বছর তার জন্য এই যাত্রা বাধ্যতামূলক। সামহি মুস্তাফা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা বাধ্যতামূলক একটি পুলিশ স্টেশনে কাটান। যাকে বলা হচ্ছে 'সাপ্লিমেন্টারি পেনাল্টি'। আর আগে তিনি পাঁচ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। গত বছরই ছাড়া পেয়েছেন। মিশরে ইতিমধ্যেই জেল খেটেছেন এমন ব্যক্তিদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর বাড়তি শাস্তি হিসেবে এই 'সাপ্লিমেন্টারি পেনাল্টি' দেওয়া হচ্ছে। ২০১৩ সালে 'মিথ্যা সংবাদ' প্রচার এবং সেসময় দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসি বিরোধী এক বিক্ষোভ চলাকালীন মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যদের সাহায্য করার অভিযোগে ৩২ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের কারাদণ্ড হয়েছিলো। আরো পড়ুন: মিশরে কেন মানুষ 'রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ' হয়ে যায় 'খোলামেলা' পোশাকের জন্য মিশরে অভিনেত্রীর বিচার মুসলিম ব্রাদারহুড এখন মিশরে একটি নিষিদ্ধ গোষ্ঠী। ক'দিন আগে সামহি টুইটারে একটি দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ির ছবি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, রোজকার ২০০ কিলোমিটার যাত্রায় তিনি বেশ বড়সড় একটি সড়ক দুর্ঘটনাতে পড়েছিলেন। সেকারণে তিনি সেদিন তাকে দেওয়া বাধ্যতামূলক 'সাপ্লিমেন্টারি পেনাল্টি' পালন করতে বানি সোয়েফের সেই পুলিশ স্টেশনে যেতে পারেননি। দুর্ঘটনা সত্ত্বেও তার অনুপস্থিতিতে আদালত তাকে আবারো এক মাসে জেল দিয়েছে। মিশরে এরকম শাস্তি শুধু তিনি পাচ্ছেন এমন নয়। দেশটিতে শতশত বিরোধী মতাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মীকে একই ধরনের সাজা দেওয়া হচ্ছে। এই সাজার মুশকিল হল - কোন ছোটখাটো অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আবার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। শওকান নামের একজন বিখ্যাত আলোকচিত্রী এই ধরনের নিপীড়নমূলক শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। সন্ধ্যে থেকে ভোর: কিভাবে কাজ করে এই শাস্তি? খুব ভোরে কায়রোর একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে খুব মনমরা অবস্থায় এলোমেলো কাপড় পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন রামি। এটি তার আসল নাম নয়। রামির শাস্তি হল আগামী তিনি বছর তাকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এই পুলিশ স্টেশনে কাটাতে হবে। তিনি বলছেন, "এমন শাস্তির জন্য আমি কোন চাকরি করতে পারি না, আমার কোন পারিবারিক জীবন নেই। টাকা পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে।" তিনিও সামহির মতো কারাগারে তিন বছরের মতো ইতিমধ্যেই কাটিয়েছেন। তার অপরাধ ছিল তিনি একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ২০ এর কোঠায় বয়স রামির কারাদণ্ড হওয়ার সাথে সাথেই তার কলেজ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি অর্থনৈতিকভাবে এখন পুরোপুরি পরিবারের উপর নির্ভরশীল। এই ধরনের শাস্তি আবার এক এক পুলিশ স্টেশনে এক এক রকম। যেমন রামি যেখানে রাত কাটান সেখানে তাকে হাজতে রাখা হয়না। কোন বিছানাও দেওয়া হয়না। থানার সাথে লাগোয়া একটি খোলা জায়গায় তাকে থাকতে হয়। খোলা আকাশের নিচেই রাতে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন বেশিরভাগ রাত। নিজের খাবার নিজেকেই নিয়ে আসতে হয়। কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে আসতে পারবেন না। শুধু বই নিয়ে আসতে পারবেন। কিছু থানায় শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি কম্বল নিয়ে আসতে পারবেন। অনেক জায়গায় হাজতের ভেতরে বিছানায় তাদের থাকতে দেওয়া হয়। আবার অনেক জায়গায় রামির মতো তাদের থানার উঠানে রাখা হয়। সমালোচনার মুখে এমন শাস্তির ধরন মিশরে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এমন শাস্তিকে 'বাড়াবাড়ি' বলে উল্লেখ করেছে। রাজনৈতিক বিরোধী ও সরকারের সমালোচকরাই মূলত এর শিকার হচ্ছেন। এর সংখ্যাও শত শত। শুধু গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২১৫ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে শওকান নামের একজন বিখ্যাত আলোকচিত্রীও রয়েছেন। এই ধরনের নিপীড়নমূলক শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন আলা আব্দেল ফাত্তাহ। পেশায় ব্লগার ও সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ২০১১ সালে হোসনি মুবারক পতনের আন্দোলনের সময় প্রথম পরিচিত হয়ে ওঠেন। তাকে গতমাসে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে তাকেও কায়রোর একটি থানায় রোজ রাতে বারো ঘণ্টা কাটাতে হয়। এত নিপীড়নের মাঝেও তিনি অনলাইনে একটি প্রচারণা শুরু করেছেন। কারাগার থেকে মুক্তির পর প্রথম যেদিন তাকে থানায় যেতে হয়েছে, সেদিনই তিনি এই ক্যাম্পেইন শুরু করেন। যাতে তিনি '#হাফ ফ্রিডম' প্রচলন করেন। মুখ বন্ধ না করলে তাকে আবারো কারাগারে পাঠানো হবে বলে ইতিমধ্যেই তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিবিসির পক্ষ থেকে মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ওদিকে আলা ফেইসবুকে লিখেছিলেন, "দুঃখজনক বিষয় হল আমি আসলে এখনো স্বাধীন নই।" অন্যান্য খবর: গর্ভপাত আইনের প্রতিবাদে 'যৌন ধর্মঘটে'র ডাক কেন লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে বাংলাদেশিরা? | Every day, Samhi Moustafa makes a gruelling round trip of 200km (125 miles) between his family home near Cairo and Bani Sweif, a province to the south. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | প্রতি মাসে ৮০ লাখ ইয়েমেনিকে সহায়তা দিয়ে থাকে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গ সংস্থানগুলো এই আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির অভ্যন্তরীন অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ইয়েমেনে অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের ছবি, কলেরার মহামারি আকারে সংক্রমণ আর পুরো সম্প্রদায়ের দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ার হুমকি আন্তর্জাতিক সম্পদ্রায়কে বাধ্য করেছে এই যুদ্ধের একটি কূটনীতিক সমাধানের খোঁজে উদ্যোগী হতে। ইয়েমেনের জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।২০১৮ সালে মানবিক সহায়তার জন্য প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ ত্রাণ সহায়তার আবেদন করেছিল জাতিসংঘ। আগামী বছর তারা ৪ বিলিয়ন ডলার অঙ্কের ত্রাণের আবেদন করবে। কিন্তু এই ত্রাণের কী পরিমাণ আসলে ইয়েমেনে পৌঁছাচ্ছে? এই ত্রাণ কোথা থেকে আসছে? আর কোথায়ই বা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত? জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় চলছে ইয়েমেনে। দাতা সংস্থাগুলোর ভূমিকা ইয়েমেনে মানবিক বিপর্যয় সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়া জাতিসংঘের এক সম্মেলনে আহ্বান করা ২ বিলিয়ন ডলারের প্রায় পুরোটাই বুঝে পেয়েছে মানবিক বিপর্যয় সামাল দিতে কাজ করা সংস্থাগুলো। ২০১৭ সালে ইয়েমেনের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের লক্ষ্যে আয়োজিত হওয়া প্রথম সম্মেলনও বেশ সফল ছিল। ঐ সম্মেলনে প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার অঙ্কের ত্রাণ সংগ্রহ করা হয়। আর ঐ অঙ্কের ত্রাণের অর্ধেকই আসে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে। জাতিসংঘের উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অবদান এই দুই দেশের; তারপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত আর যুক্তরাজ্য। আরো পড়ুন: ইয়েমেনে সৌদি অভিযানের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনেট ইয়েমেন যুদ্ধের ঢেউ লেগেছে সৌদি আরবেও সমঝোতা সত্ত্বেও যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থান, ইয়েমেনের স্থানীয় এনজিও এবং আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার কাছে দেয়া হয় এই সহায়তা। কিন্তু ইয়েমেনের জন্য এই বিশাল পরিমাণ অর্থ ও সহায়তা বরাদ্দ রাখা হলেও যাদের এই সহায়তার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তাদের পর্যন্ত কেন পৌঁছাচ্ছে না সহায়তা? ইয়েমেনের ভেতরে যেরকম অবস্থা বর্তমানে ইয়েমেনের অভ্যন্তরের পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ এবং মানবিক সহায়তা সরবরাহ ও বিতরণ কাজ গভীরভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যাদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ প্রয়োজন তারা খুব সামান্যই সহায়তা পাচ্ছেন। একদিকে সমুদ্র আর বায়ুপথে বাণিজ্যিক পণ্যের আমদানি অবরোধ করে ইয়েমেনে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট। এই আমদানি করা পণ্যের ৯০ শতাংশই খাবার, জ্বালানি এবং গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। আর এসব পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কার্যত দেশ অচল হয়ে পরেছে। গত কয়েকমাসে ইয়েমেনে খাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ এছাড়া জোটের অভিযান চলাকালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা'র সাথে অবস্থিত বন্দর হুদাইদা সংলগ্ন সেতুগুলো ধ্বংস করা হয়। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলোকে এখন বিকল্প পথ অবলম্বন করে বিপর্যস্ত মানুষের কাছে পৌঁছাতে হচ্ছে। এর ফলে ত্রাণ সরবরাহের খরচও বেড়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে পড়ছে মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছানো। অন্যদিকে স্থানীয় বিভিন্ন দলও এই ত্রাণ সরবরাহের বাধা দিচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী লুট অথবা কালোবাজারে সেসব বিক্রির ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়। আর এই দুই পক্ষের মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে জ্বালানির ঘাটতি তৈরি করে এর দাম বাড়ার পেছনে ভূমিকা পালন করছে। শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ইয়েমেন? কেন উন্নতি হচ্ছে না অবস্থার? যুদ্ধক্ষেত্রে ত্রাণ সরবরাহ করা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। ক্রমাগত যুদ্ধ এবং বিমান হামলা চলার কারণে মানবিক সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে নিয়োজিত কর্মীরাও হুমকির মুখে পড়েন। অধিকাংশ সময়ই যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় ব্যহত হয় ত্রাণ সরবরাহ। এছাড়া সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম এবং বিভিন্ন পর্যায়ে চলা সহিংসতার কারণেও সাহায্য বঞ্চিত হতে হয় বিপর্যস্ত মানুষকে। ইয়েমেন তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্যের প্রায় পুরোটাই আমদানি করে থাকে। কিন্তু চলমান যুদ্ধ এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দুই বছরের অবরোধের কারণে ইয়েমেনে প্রবেশ করা খাদ্যের পরিমাণ ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। অস্ত্রের চোরাচালান বাড়তে পারে - এমন অজুহাত দেখিয়ে ইয়েমেনের সরকারকে সমর্থন দেয় ঐ জোট। জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, এবছরের মে থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে ইয়েমেনে খাদ্য আমদানির হার কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। খাদ্য আমদানিতে জটিলতা, মূদ্রাস্ফীতি এবং অবরোধের কারণে খাদ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এর ফলে দূর্ভোগ পীড়িত মানুষ খাদ্য কিনতে অপারগ হয়ে পড়ছে, যদিও দোকানে এবং বাজারে ঠিকই খাবার দ্রব্য রয়েছে। ইয়েমেনে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের পেছনে কারণ কী? অন্যান্য খবর: ঐক্যফ্রন্ট ইশতেহারকে 'ফাঁকা বুলি' বলছেন বিশ্লেষক জলবায়ু পরিবর্তনে যেভাবে ভূমিকা রাখছে সিমেন্ট নেতানিয়াহুর ছেলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কেন বন্ধ ছিল? | UN-sponsored peace talks have been an important moment in the search for an end to the war in Yemen. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার বিষয়ে বিভিন্ন দেশে পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারণা রয়েছে। এসব কথা বলছিলেন ২২ বছর বয়সী ফায়ি। তবে এটি সে মেয়ের আসল নাম নয়। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একজন নেতা উইলিয়াম হেগ বলেছেন, গাঁজার ব্যবহার নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।" তিনি মনে করেন, বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করা উচিত। তবে ব্রিটেনের সরকার তার এ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মাত্র একদিন আগে কানাডার পার্লামেন্ট বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করে দিয়েছে। ফায়ি (ছদ্মনাম) বলেন, তাদের স্কুলে বলা হয়েছে যে কোন অবস্থাতেই মাদকের সংস্পর্শে আসা যাবেনা। মদ্যপান এবং সিগারেট সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে তাদের নানা রকম তথ্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনেক শিক্ষার্থী জীবনের কোন একটি পর্যায়ে এসে মাদকের সংস্পর্শে চলে আসে। আরো পড়ুন: গাঁজা রপ্তানিতে শীর্ষে যেতে চায় অস্ট্রেলিয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন বছর থেকে বৈধ হলো গাঁজা যেসব কারণে গাঁজা বৈধ করতে যাচ্ছে ক্যানাডা ব্রিটেনে চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে সে দেশের সরকার। গাঁজা সেবনের ক্ষতিকর দিকগুলো: লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষক ড. মার্টা ডি ফোর্টি বলেছেন, কিশোর বয়সে প্রতিদিন গাঁজা সেবন করলে সিজোফ্রেনিয়া তৈরি করতে পারে। এ ধরনের আশংকার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লিখিত এক নিবন্ধে মি: হেগ উল্লেখ করেছেন যে মানুষের জীবন কিংবা রাস্তা থেকে মাদককে তাড়িয়ে দেবার যে ধারণা সেটি কার্যকর হয়নি। তিনি বলেন, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে তরুণ সমাজ অন্য কোন কিছুর চেয়ে খুব সহজেই গাঁজা ক্রয় করতে পারে। এমনকি ফাস্টফুড, সিগারেট কিংবা অ্যালকোহল এতো সহজে তারা কিনতে পারেনা বলে মি: হেগ মন্তব্য করেন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে তুলে ধরেছে যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সিগারেটের তুলনায় মাদক বেশি ব্যবহার করেছে। গাঁজার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২৪ বছর বয়সী ড্যারেন (ছদ্মনাম) জানিয়েছে সে ১৩ বছর বয়স থেকেই গাঁজা সেবন করছে। "সারাদিন ব্যস্ততার পর আপনি যখন বাসায় ফিরবেন তখন এটি সেবন করলে শরীর এবং মনে প্রশান্তি আসে। হঠাৎ করে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়," বলছিলেন ড্যারেন। "এটা আমার মনে যেভাবে প্রশান্তি নিয়ে আসে, সেটি আমি পছন্দ করি।" তিনি মনে করেন তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অ্যালকোহল পান করার চেয়ে গাজা সেবন করাকে নিরাপদ মনে করে। "অ্যালকোহল পানে মানুষের মৃত্যু হয়। এটি লিভার ধ্বংস করে। কিন্তু গাঁজা সেবন নিয়ে এ ধরনের কিছু পাবেন না। এটা অনেকটা নরম বিকল্পের মতো। এটি সেবন করলে আমি মারা যাবনা।" তবে গাঁজা সেবনের কিছু ক্ষতিকারক দিক আছে। সে বিষয়টি স্বীকার করছেন ড্যারেন। গাঁজা সেবনের কারণে হয়তো তার পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে এবং অন্যান্য অর্জন ব্যহত হয়েছে। "আমি ভালো করেছি। কিন্তু আমি হয়তো আরো ভালো করতে পারতাম। প্রতিদিন গাঁজা সেবনের সাথে আমার মনে এ দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। যখন আমি গাঁজা সেবন করি সে মুহূর্তটি চমৎকার। কিন্তু একঘণ্টা পর আমার মনে অপরাধ-বোধ কাজ করে। তাছাড়া এটা খুব দামি এবং কখনো-কখনো এটি আমাকে অলস করে দেয়।" গাঁজা সেবনের কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন গবেষকরা। ড্যারেন বলেন, গাঁজা সেবন এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মস্থল থেকে বের হলে কিংবা মার্কেটে গেলে গাঁজা বিক্রেতাদের দেখা পাওয়া যায়। তারা মানুষের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে - গাঁজা কিনবে কিনা? ব্রিটেনে অনেকে মনে করেন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোর কিংবা তরুণরা শুধু গাঁজা সেবন করে। কিন্তু বাস্তবতা এর চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত। "মা-বাবা, দাদা-দাদী, পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা শিক্ষকও গাঁজা সেবন করে," বলছিলেন ড্যারেন। ফায়ি জানালেন, শুধু স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের মধ্যে গাঁজা সেবন সীমাবদ্ধ নেই। যাদেরকে এ তালিকার বাইরে রাখা হয়, তাদের মধ্যেও এর বিস্তৃতি ঘটেছে। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০১৮: রুশ নারীরা এত আলোচনায় কেন? নরওয়ের ইলেকট্রিক ব্যাটারি চালিত পরিবহন বিপ্লব লেভেল ক্রসিং-এর মরণফাঁদ বন্ধ হয় না কেন? | "For me, having cannabis in the evening is the equivalent of having a glass of wine on a Friday night. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | সিঙ্গাপুরে অভিবাসী শ্রমিকদের বড় অংশটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাসিন্দা এজন্য শ্রমিকরা থাকেন এমন দুইটি ডর্মিটরি অর্থাৎ আবাসস্থলকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে। পাঙ্গল এলাকায় এস-১১ ডর্মিটরিতে ১৩ হাজার শ্রমিক থাকেন, যেখানে ইতিমধ্যে ৬৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। ওয়েস্টাইল টোহ গুয়ান ডর্মিটরিতে ৬৮০০ শ্রমিক থাকেন যাদের মধ্যে ২৮জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসব ডর্মিটরিতে মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিকেরা বাস করেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দুইটি আবাসিক ভবনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস কীভাবে শরীরের ক্ষতি করে? বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? করোনাভাইরাস নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন বিশ্ব মহামারি শেষ হতে কতদিন লাগবে? শ্রমিকদের নিজেদের কামরা ও ব্লক থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের রুম বা ফ্লোরে থাকে না, এমন মানুষদের সঙ্গেও মিশতে নিষেধ করা হয়েছে। ডর্মে থাকা শ্রমিকদের রোজ তিনবেলা করে খাবার দেয়া হচ্ছে, কিন্তু সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। একেক কামরায় বসবাসরত মানুষের সংখ্যা একেক ডর্মে একেক রকম। কিন্তু ২০১৫ সালে বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল কোন কোন কামরায় এমনকি ১২ জন পর্যন্ত অবস্থান করেন। এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ যদিও আগাম সতর্কতামূলক অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু দেশটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কাশি আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। জাপানে জরুরি অবস্থা করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জাপানের সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সন্ধ্যায় আলাপে বসবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে। ওই বৈঠকের পরই জরুরী অবস্থা জারির ঘোষণা দেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জাপানে ৩৬০০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৫ জন। নিউ ইয়র্কে আক্রান্তের হার হ্রাস নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমেছে। রোববার ওই রাজ্যে মোট ৫৯৪জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন, আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ৬৩০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে 'সুরঙ্গের শেষে আলোর দেখা পাওয়া গেছে' বলে বর্ণনা করেছেন। তবে মার্কিন উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউচি মৃত্যুর হার কমাকে সাময়িক অগ্রগতি বলে মনে করেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মার্কিন সার্জন জেনারেল জেরোমি অ্যাডামস, তিনি মনে করেন আগামী সপ্তাহগুলো হবে 'খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং' সময়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২০০ মানুষ মারা গেছেন। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসি, ডেট্রয়েট এবং নিউ অর্লিয়েন্সে এখনো করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যে কারণে মাস্ক ও ভেন্টিলেটরের মত মেডিকেল সরঞ্জামের স্বল্পতা বহুগুণ বাড়বে বলে অনেক রাজ্যের গভর্নর ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন। অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে স্পেন এবং ইটালিতেও সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের হার কমে এসেছে, ধারণা করা হচ্ছে লকডাউনের ফলে এই উন্নতি হয়েছে। এদিকে, কোয়ারেন্টিনে যেতে রাজি না হওয়ায় তাইওয়ানের নাগরিক একজন নারীকে ডিপোর্ট করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আবার বাজারে আসা ক্রেতাদের ওপর ইচ্ছে কাশি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নিউজিল্যাণ্ডে এক ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছে আদালত। | Singapore has told 20,000 foreign workers to stay in their dormitories for 14 days as coronavirus cases increase in the city state. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় বলছেন ফরাসী গবেষকরা কেক, চিকেন নাগেট ও বড় পরিসরে উৎপাদিত রুটিকে "অতিরিক্ত প্রকিয়াজাতকৃত" খাবারের মধ্যে রেখেছেন গবেষকরা। ১ লক্ষ ৫ হাজার লোকের উপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে যত বেশি এই ধরনের খাবার গ্রহন করা হয়, ক্যান্সারের ঝুঁকি ততই বেড়ে যায়। এই গবেষণা নিয়ে অনেকে বিতর্কিত মত পোষণ করলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সুস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণই সর্বোৎকৃষ্ট। অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার কোনগুলি •বড় পরিসরে উৎপাদিত প্যাকেটজাত রুটি •মিষ্টি বা মসলাযুক্ত স্ন্যাকস •চকলেট বার ও মিষ্টি •সোডা ও কোমল পানীয় •মিটবল, পোলট্রি ও ফিশ নাগেট •ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও স্যুপ •ফ্রোজেন ও রেডি খাবার •চিনি, তেল ও চর্বি দিয়ে তৈরী খাবার খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকির অন্যতম প্রধাণ কারণ হিসেবে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ধূমপান বন্ধ করার পর ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ অথিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রক্রিয়াজাত মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ায়। ইউনিভার্সিতে সোরবোন পারী সিতে'র একটি গবেষণা দল গড়ে ৫ বছর ধরে এই গবেষণা চালায়। জরিপের অধিকাংশ অংশগ্রহনকারীই ছিল মধ্যবয়সী নারী। বৃটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় উঠে আসে, খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের হার ১০% বাড়লে, ক্যান্সারের ঝুঁকি ১২% বেড়ে যায়। এই ধরনের রুটি কি আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়? এই গবেষণা চালানোর সময়: •গড়ে ১৮% মানুষের খাবার ছিল অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত •গড়ে প্রতি বছর ১০ হাজার লোকের মধ্যে ৭৯ জনের ক্যান্সার দেখা গেছে •প্রক্রিয়াজাত খাবারের হার ১০% বাড়ানোর ফলে বছরে প্রতি ১০ হাজারে অতিরিক্ত ৯ জনের ক্যান্সার ধরা পড়ে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ বাড়ার সাথে সাথে আগামী কয়েক দশকে ক্যান্সার অঅক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তাঁরা জানান এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরো বড় আকারের জরিপ ও গবেষণা চালানো প্রয়োজন। অতিরিক্ত ওজন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ক্যান্সারের মধ্যে নিশ্চিত কোনো সম্পর্ক এই গবেষণায় উঠে আসেনি। এই গবেষণা থেকে বলা যায় না যে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যান্সারের একটি কারণ। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে'র প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর লিন্ডা বল্ড বলেন, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণকারীদের ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে, আর ওজন বৃদ্ধির কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাদ্যাভ্যাস ও ওজনের পারস্পরিক সম্পর্ক আলাদাভাবে বিচার করা কঠিন। মিজ. বল্ড বলেন "এই গবেষণা আমাদের জন্য একটি সতর্কতাবার্তা দেয়, তবে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খেলে স্বল্প পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণের বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়।" পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার বিষয়ে ভিন্ন মত ও সমালোচনা প্রকাশ করেছেন। | A link between highly processed foods and cancer has been suggested by French researchers. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ডা. শাকিল আফ্রিদি এই প্রথমবারের মত ডা. শাকিল আফ্রিদির মামলার আদালতে শুনানি হলো। কৌসুঁলিদের অনুরোধে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত মামলা মুলতুবি করা হয়। ড. আফ্রিদির ভূমিকায় পাকিস্তান খুবই বিব্রত হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে তার নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। ২০১১ সালে পৃথিবীর মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো অভিযুক্ত করা হয়নি। ড. আফ্রিদিকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় পাকিস্তানে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন ডলার - পেশোয়ার হাই কোর্টের দেয়া কারাদণ্ড অনুযায়ী ড. আফ্রিদির প্রতি বছর কারাভোগের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার করে - পরিমাণ অর্থ সাহায্য কমিয়ে দেয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি নির্বাচিত হলে 'দুই মিনিটে' ডা. আফ্রিদিকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন, কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রে ডা. আফ্রিদিকে বীর মনে করা হলেও পাকিস্তানে অনেকেই তাকে বিশ্বাসঘাতক মনে করেন। তার কারণে বাধা ছাড়াই মার্কিন নেভি সিলরা পাকিস্তানের ভেতর প্রবেশ করে টুইন টাওয়ারে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে হত্যা করে তার মৃতদেহ নিয়ে পাকিস্তানের বাইরে চলে যেতে সক্ষম হয়। আর তারপরই কিছুটা অস্বস্তিকর একটি প্রশ্নে উঠে আসে - পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেশের অভ্যন্তরে ওসামা বিন লাদেনের অবস্থানের বিষয়টি আগে থেকে জানতো কি না। কে এই শাকিল আফ্রিদি ডা. আফ্রিদি খাইবারের উপজাতি অঞ্চলের শীর্ষ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত বেশকিছু টিকাদান কর্মসূচীর তত্ত্বাবধান করেছেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে অ্যাবোটাবাদ শহরে একটি হেপাটাইটিস বি কর্মসূচী পরিচালনা করছিলেন তিনি। এই অ্যাবোটাবাদেই অনেকটা সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় ওসামা বিন লাদেন বসবাস করছিলেন। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের পরিকল্পনা ছিল অ্যাবোটাবাদের ঐ বাসার কোনো একজন শিশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে যাচাই করা যে ঐ শিশুদের কেউ ওসামা বিন লাদেনের আত্মীয় কিনা। ধারণা করা হয়, ডা. আফ্রিদির একজন কর্মী সেই বাসায় গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু ঐ নমুনা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার অভিযানে কতটা সহায়ক ছিল তা জানা যায় না। ওসামা বিন লাদেন মারা যাওয়ার ২০ দিন পর ২০১১ সালের ২৩শে মে ডা. আফ্রিদিকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। সেসময় তার বয়স চল্লিশের কোঠায়। ২০১২ সালে অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। ১৯৯০ সালে তিনি খাইবার মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক করেছেন এবং তিনি খুবই সাধারণ পরিবারের সন্তান। তাকে গ্রেফতার করার পর থেকে জঙ্গি হামলা হওয়ার আশঙ্কায় তার পরিবার আত্মগোপনে রয়েছে। আত্মগোপনে যাওয়ার আগে তার স্ত্রী অ্যাবোটাবাদের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। তাদের তিন সন্তান রয়েছে - ২টি ছেলে এবং একটি মেয়ে, যাদের অন্তত ২ জন বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেন যে ডা. আফ্রিদি তাদের হয়ে কাজ করেছেন। পাকিস্তানের এক তদন্ত অনুযায়ী, সিআইএ যখন তাকে নিয়োগ দেয় তখন তিনি জানতেন না যে তাদের অভিযানের লক্ষ্য কী। কোন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে? প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হলেও, ২০১২ সালের মে মাসে যখন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়, তখন নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলামকে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় একটি আদালত তাকে শুরুতে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিলেও পরে আবেদন সাপেক্ষে তা কমিয়ে ২৩ বছর করা হয়। ২০১২ সালে জেল থেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেন যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনী তাকে অপহরণ ও নির্যাতন করেছে। একবছর পর তার আইনজীবীদের কাছে হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠাতে সক্ষম হন তিনি - যেখানে তিনি দাবি করেন যে তিনি বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আনা হলো না? এই বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও, বিন লাদেনের বিষয়টি পাকিস্তানের জন্য বড় একটি ঘটনা ছিল। কর্তৃপক্ষ মার্কিন অভিযানের বিষয়টিকে সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে দেখে এবং যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেসময় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বাধ্য হয়ে স্বীকার করতেই হয় যে ওসামা বিন লাদেন যে বেশ কয়েকবছর ধরে ঐ এলাকার একটি তিন তলা বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন, সে সম্পর্কে তাদরে কোনো ধারণা ছিল না। ২০১১ সালের মে মাসে বিন লাদেনের বাড়ি থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিচ্ছে সৈন্যরা তৎকালীন হোয়াইট হাউজ সন্ত্রাস দমন বিভাগের প্রধান জন ব্রেনান মন্তব্য করেছিলেন যে বিন লাদেন পাকিস্তানে কোনো 'সহায়তা ছাড়াই বসবাস করছিলেন, তা ধারণাতীত', তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। তাই ডা. আফ্রিদিকে মার্কিন অভিযানে তার নেয়া ভূমিকার জন্য অভিযুক্ত করা আরো নেতিবাচক প্রচার হবে বলে ধারণা করা হয়। কেন এখন তার মামলা আদালতে গড়ালো? এখন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে ব্রিটিশ আমলের সীমান্ত অপরাধ বিধি অনুসারে, যেটি আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অধীনে থাকা আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলগুলোতে গত বছর পর্যন্ত বলবত ছিল। সেসব এলাকার উপজাতিদের পরিচালিত আদালত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে, স্থানীয় উপজাতিদের কাউন্সিলের সহায়তায় পরিচালিত হতো এবং তারা যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলতে বাধ্য ছিল না। কিন্তু গত বছর খাইবার পাখতুনওয়ালার সাথে উপজাতি এলাকাগুলো একত্রিত হয়ে গেলে উপজাতিদের আদালতের মামলাগুলোও পাকিস্তানের আদালতের অধীনে আসে। পরবর্তী শুনানিতে ডা. আফ্রিদির কারাদণ্ডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হতে পারে অথবা বাড়তেও পারে। গত বছরে পেশোয়ারের একটি কারাগার থেকে পাঞ্জাবের একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। তারপর থেকেই এমন আলোচনা তৈরি হয়েছে যে তাকে মুক্তি দেয়া হতে পারে। জল্পনা রয়েছে অভিযুক্ত আল কায়েদা সদস্য আফিয়া সিদ্দিকি, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে কারাভোগ করছেন, তার সাথে বন্দী বিনিময় করা হতে পারে ডা. আফ্রিদিকে। । | A Pakistani doctor who helped the US find al-Qaeda leader Osama Bin Laden is appealing against his jail sentence. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকা। মঙ্গলবার মধ্যরাতের দিকে লন্ডনের পূর্ব দিকে এসেক্স কাউন্টির গ্রেজ শহরের কাছে ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এসব মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারপরই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস থেকে পুলিশ ডাকা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ২৫ বছর বয়সী লরির চালককে আটক করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। এসেক্স পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছে যে তাদের মধ্যে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন কিশোর। কর্মকর্তারা বলছেন, লরিটি বুলগেরিয়া থেকে আয়ারল্যান্ড হয়ে এসেছে এবং শনিবার হলিহেড দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশ এখন মৃতদেহগুলোকে সনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা বলছেন, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। লরিটির মধ্যে জীবিত কাউকে পাওয়া গেছে কিনা তা পুলিশ বলে নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলছেন, এরকম একটি ট্র্যাজিক ঘটনায় তিনি অত্যন্ত শোকাহত ও স্তম্ভিত। ব্রিটেনে এ ধরণের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ন'বছর আগে ২০০০ সালের জুন মাসে ডোভারে একটি লরির ভেতর থেকে ৫৮ জন চীনা অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। দুজনকে পাওয়া যায় জীবিত অবস্থায়। ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে এক বছর পরেই একজন ডাচ লরি চালককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহগুলো উদ্ধারের কাজ চলছে। কোন পথ ধরে লরিটি যুক্তরাজ্যে এসেছে সেটি এখনও জানা যায় নি। তবে কারো কাছে এসংক্রান্ত তথ্য থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুোধ করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টে বলেছে, "এটি অকল্পনীয় এক মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা।" তিনি জানান, ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে সেটি খুঁজে বের করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ব্রিটেনের ট্রাক পরিবহন সংক্রান্ত একটি সমিতির প্রধান বলেছেন, এ ঘটনায় বোঝা যায় যে বিভিন্ন অপরাধী চক্র যেভাবে অভিবাসীদের পাচারের জন্য কনটেইনার লরিকে কাজে লাগায় - তা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একজন লিবডেম সদস্য এ্যান্টনি হুক বলেছেন, যুক্তরাজ্যের উচিত ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে মিলে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া যাতে শরণার্থী সংকটে এরকম ভাবে মানুষের মৃত্যু না হয়। তিনি আরো বলেন, ব্রিটেনসহ ইউরোপ জুড়ে পপুলিস্ট সরকারগুলো অভিবাসী ও শরণার্থীদের বাপারে যে কঠোর নীতি নিয়েছে - তার ফলে লোকজন মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ছে এবং প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। | The bodies of 39 people have been found in a lorry trailer in Essex. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ইমরান খান ইমরান খান আরো বলেন, কাশ্মীর সংকট নিষ্পত্তি করার জন্য 'হয়তো নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি নির্বাচনে জিতলেই ভাল হবে।' বিবিসির জন সিম্পসনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে যে মতভেদ তা শুধু সংলাপের মাধ্যমেই মীমাংসা হতে পারে। 'ভারতের নির্বাচনে মোদী জিতলেই ভালো' এমন সময় ইমরান খান এ সাক্ষাতকার দিলেন যখন ১১ই মে থেকে ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। এর আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জৈশ-ই-মোহাম্মদের এক আক্রমণের পর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। ভারত পাকিস্তানের ভেতরে বিমান হামলা চালিয়ে জঙ্গী ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করে, অন্য দিকে পাকিস্তান একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। ইমরান খান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনের আগে জনপ্রিয়তা পাবার জন্যই পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছিলেন। তবে মি. খান আরো যোগ করেন যে কাশ্মীর সংকট নিষ্পত্তি করার জন্য হয়তো নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি নির্বাচনে জিতলেই 'ভাল হবে,' কারণ মি. মোদী ভারতের দক্ষিণপন্থী হিন্দুদের সমর্থন পাবেন। "সম্ভবত দক্ষিণপন্থী দল বিজেপি জিতলে কাশ্মীরে কিছু একটা সমাধানে পৌঁছানো যেতে পারে"- রয়টারকে দেয়া আরেক সাক্ষাতকারে বলেন তিনি। ইমরান খান তিনি বলেন, অন্য কোন পার্টি জিতলে তারা হয়তো পাকিস্তানের সাথে আলোচনা করতে গেলে হিন্দু 'ব্যাকল্যাশের' ভয়ে থাকবে। ভারতে প্রতিক্রিয়া কিন্তু 'নরেন্দ্র মোদির দক্ষিণপন্থী বিজেপি দল নির্বাচনে জিতলে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে সুবিধা হবে' - ইমরান খানের মুখে এমন কথা শোনার পর ভারতে রাজনীতিকদের মধ্যে একটা আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে ভারতের রাজনীতিবিদদের কিছৃ মন্তব্য ভারতের সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এনডিটিভির খবরে বলা হচ্ছে যে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কয়েকজন নেতা এ নিয়ে মি. মোদীর সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেসের একজন মুখপাত্র রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইট করেছেন, তার ভাষায় 'মোদীজীই যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের আসল বন্ধু' তা পরিষ্কার হয়ে গেছে ইমরানের মন্তব্যে। পুলওয়ামায় জৈশ-ই-মোহাম্মদের আক্রমণের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য ইমরান খানের বার্তা কী? এ প্রশ্ন করা হলে মি. খান বলেন, "কাশ্মীর ইস্যু নিষ্পত্তি করতেই হবে এবং তা যেভাবে 'টগবগ করে ফুটছে' - তা চলতে দেয়া যায় না।" ইমরান খান বলেন, "দুটি দেশেরই সরকারের প্রধান কাজ দারিদ্র্য কমিয়ে আনা, যার পথ হলো সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি। আর বিরোধ একটাই - তা হলো কাশ্মীর।" তিনি বলেন, "ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তাহলে পাকিস্তানের পাল্টা জবাব দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। তখন পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা কেউ বলতে পারে না। আমার মনে হয় পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশের ক্ষেত্রে এটা হবে একটা দায়িত্বহীন ব্যাপার।" 'জৈশ-ই-মোহাম্মদের মত সংগঠনগুলো ভেঙে দেয়া শুরু হয়েছে' বিবিসির জন সিম্পসন প্রশ্ন করেন, "ভারত তো বলতে পারে যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে এখনো যথেষ্ট করছে না" জবাবে ইমরান বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই সংগঠনগুলো ভেঙে দিতে শুরু করেছি। জৈশ সহ এসব সংগঠনগুলোর মাদ্রাসা বা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো আমরা অধিগ্রহণ করেছি। সামরিক গ্রুপগুলোকে নিরস্ত্র করার জন্য এই প্রথম 'সিরিয়াস' প্রয়াস নেয়া হচ্ছে। আপনার কি এ কাজ সম্পূর্ণ করার ইচ্ছে আছে? প্রশ্ন করেন জন সিম্পসন। "জন, আমাদের সেই ইচ্ছে আছে, এবং তা পাকিস্তানের ভবিষ্যতের স্বার্থে" - বলেন ইমরান। পাকিস্তানের হাতে ভূপাতিত ভারতী বিমানের ধ্বংসাবশেষ বিবিসি বাংলায় আরও খবর: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ ইমরান বনাম মোদী: কৌশলের লড়াইতে জিতলেন কে? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধই কি কাশ্মীর দ্বন্দ্বের সমাধান? কাশ্মীর নিয়ে ভারত আর পাকিস্তানের লড়াইয়ের কারণ কি? ভারতের প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, "ভারত একসময় একটা উদার সমাজ ছিল। ভারতে এখন যা হচ্ছে, তা আমি কখনো দেখবো বলে ভাবি নি।" 'সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সক্রিয় হতে দেবো না' বিবিসির পাশাপাশি বার্তা সংস্থা রয়টার ও মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকেও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইমরান খান। তাতে তিনি বলেন, পাকিস্তান আর সেদেশের ভেতরে সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে সক্রিয় হতে দেবে না। মি. খান বলেন, "বাইরের চাপের কথা ভুলে যান। আমাদের দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সশস্ত্র মিলিশিয়াদের আর কাজ করতে দেবো না। ১৯৮০-র দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল। সেদিকে ইঙ্গিত করে ইমরান খান বলেন, "পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাদের সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু এসব গ্রুপের এখন আর কোন প্রয়োজন নেই।" মি. খানকে প্রশ্ন করা হয়, পাকিস্তানকে কে নিয়ন্ত্রণ করে- তিনি, না পাকিস্তানের সামরিক এস্টাব্লিশমেন্ট? জবাবে ইমরান খান বলেন, তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'আসিয়া বিবি কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তান ছাড়বেন' পাকিস্তানে আসিয়া বিবি নামে যে খ্রীষ্টান নারী ধর্মদ্রোহিতার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন, এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যে সাজা খারিজ হয়ে যায় - ওই ঘটনা সম্পর্কেও কথা বলেন ইমরান খান। আসিয়া বিবি এখনো পাকিস্তানেই গোপন আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। ইমরান খান বলেন, আসিয়া বিবি খুব শিগগীরই পাকিস্তান ত্যাগ করবেন। "এখানে একটু জটিলতা আছে, এবং আমি এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে পারি না। কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে আসিয়া বিবি নিরাপদে আছেন, এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশত্যাগ করবেন" - বলেন তিনি। বেশ কিছু দেশ ইতিমধ্যেই আসিয়া বিবিকে আশ্রয় দিতে চেয়েছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকা দিল গ্রিন লাইন যেভাবে চরমপন্থায় রূপ নিল উগ্র বাম আন্দোলন 'মাসুদ রানা' হতে গিয়ে বন্ধুর হাতে খুন স্কুল-মাদ্রাসায় ছাত্রীদের নিরাপত্তা: কী করা দরকার? প্যারোল ও জামিনের মধ্যে পার্থক্য কী? | Pakistani Prime Minister Imran Khan has told the BBC that peace with India over the disputed territory of Kashmir would be "tremendous" for the wider region. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে হোয়াইট হাউসে মিস্টার ট্রাম্প বলেন, তার প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের জন্য "শেষ সুযোগ হতে পারে।" তিনি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রস্তাব করেছেন এবং পশ্চিম তীরের ইহুদী বসতির উপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে হোয়াইট হাউসে মিস্টার ট্রাম্প বলেন, তার প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের জন্য "শেষ সুযোগ হতে পারে।" এই প্রস্তাবকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এটি নাকচ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। "আমি ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুকে বলছি: জেরুসালেম বিক্রির জন্য নয়, আমাদের সব অধিকার বিক্রি হবে না এবং এ নিয়ে দর কষাকষিও হবে না। এবং আপনাদের চুক্তি, ষড়যন্ত্র পাস করা হবে না," পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি একথা বলেন। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতের সমাধান করার লক্ষ্যে এই পরিকপনা তৈরি করার দায়িত্বে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার। এর আগে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি, সেসময় পশ্চিম তীরে সেনা মোতায়েন জোরদার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এই যৌথ ঘোষণা এমন এক সময় আসলো যখন মিস্টার ট্রাম্প এবং মিস্টার নেতানিয়াহু উভয়ই নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। মার্কিন সেনেটে অভিশংসনের বিচারের মুখে রয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প এবং অন্যদিকে মঙ্গলবার মিস্টার নেতানিয়াহুর দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়ে করা প্রস্তাব বাতিল হয়েছে। দুজনই কোন ধরণের অপরাধ করার কথা অস্বীকার করেছেন। ইসরায়েলে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান বলেন, এই ঘোষণার সময়টা কোন রাজনৈতিক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে নির্ধারণ করা হয়নি, এটা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তৈরি করাই ছিল। এরমধ্যে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয় যে মিস্টার নেতানিয়াহু দখলকৃত পশ্চিম তীরের ৩০% ইসরায়েলের সাথে যুক্ত করার কথা ভাবছেন, এ বিষয়ে রোববার মন্ত্রীসভার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পশ্চিম তীরের বসতিতে চার লাখেরও বেশি ইসরায়েলি বাস করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি অবৈধ, যদিও ইসরায়েলের এনিয়ে দ্বিমত রয়েছে। মিস্টার ফ্রিডম্যান বলেন, পশ্চিম তীরের অংশ যুক্ত করা নিয়ে ইসরায়েলকে "মোটেই অপেক্ষা করতে হবে না।" বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য রয়েছে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কী আছে? "আজ ইসরায়েল শান্তির পক্ষে বড় ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে," হোয়াইট হাউসে নিজের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের বলেন মিস্টার ট্রাম্প। "আমার দূরদৃষ্টি বলছে, এটা উভয় পক্ষের জন্যই একটি জয়ের সুযোগ। এটি একটি বাস্তবসম্মত দ্বি-রাষ্ট্রের সমাধান।" তার প্রস্তাবগুলো হলো: •যুক্তরাষ্ট্র সেই সেসব এলাকার উপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেবে যা মিস্টার ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েলের অংশ। এই পরিকল্পনায় একটি আনুমানিক মানচিত্রের কথা বলা হয়েছে যাতে মিস্টার ট্রাম্পের মতে, ইসরায়েল স্বেচ্ছায় কিছু ভূমি ছেড়ে দিতে চাইছে সীমানা নির্ধারণের সুবিধার জন্য। •এই মানচিত্রটি "ফিলিস্তিনি ভূমির আয়তন দ্বিগুন করবে এবং পূর্ব জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি রাজধানী করার সুযোগ তৈরি করবে," যেখানে যুক্তরাষ্ট্র একটি দূতাবাস গড়বে বলে জানান মিস্টার ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের দ্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন-পিএলও বলে, মিস্টার ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের তাদের উল্লেখিত "ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের" ১৫% এর উপর নিয়ন্ত্রণ দেবে মাত্র। •জেরুসালেম "ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য রাজধানী থাকবে"। পবিত্র এই শহরকে নিজেদের বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ই। ফিলিস্তিনিদের দাবি অনুযায়ী, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেমের যে অংশ দখল করে নিয়েছে তা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী। •ফিলিস্তিনিদের জন্য "নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনের সুযোগ" বলেছেন- কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। •"কোন ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলিকেই তাদের বাড়ি থেকে উৎখাত করা হবে না"- এটা থেকে বোঝা যায় যে, ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে বসতি থাকবে। •ইসরায়েল জর্ডানের বাদশাহর সাথে কাজ করবে এটা নিশ্চিত করতে যে, জেরুসালেমে ইহুদীদের পবিত্র অঞ্চল টেম্পল মাউন্ট এবং মুসলিমদের আল-হারাম আল শরিফ যাতে সংরক্ষিত থাকে। এই অঞ্চলটি পরিচালনায় গঠিত ট্রাস্টটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে জর্ডান। •মিস্টার ট্রাম্পের প্রস্তাবিত মানচিত্রে ফিলিস্তিনের জন্য যে ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে তা "চার বছরের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং এতে কোন ধরণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে না"। এই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা চুক্তি সম্পর্কে পড়াশোনা করে, ইসরায়েলের সাথে সমঝোতা করবে এবং "রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মানদণ্ড অর্জন করবে।" "ফিলিস্তিনিরা দরিদ্রতা এবং সহিংসতার মধ্যে রয়েছে, যারা তাদেরকে সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থায় গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তাদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে। আরো ভাল জীবন তাদের প্রাপ্য," মিস্টার ট্রাম্প বলেন। মঙ্গলবার রামাল্লার রাস্তায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা। তিনি আরো ইঙ্গিত দেন যে এই পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করা হবে না। "ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে আমরা একটি সংলগ্ন এলাকা তৈরি করবো, যখন সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যানসহ রাষ্ট্র হওয়ার জন্য মানদণ্ড অর্জনের সব শর্ত পূরণ হবে," তিনি বলেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার এই পরিকল্পনা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনা করতে মস্কোতে যাবেন মিস্টার নেতানিয়াহু। এর কী ধরণের প্রতিক্রিয়া এসেছে? নিজের বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেন, জেরুসালেমকে রাজধানী না করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে "যেকোনো ফিলিস্তিনি, আরব, মুসলিম কিংবা খ্রিস্টান শিশুর জন্য মেনে নেয়া অসম্ভব।" "আমরা হাজার বার বলেছি, না, না, না," তিনি বলেন। "আমরা শুরু থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করেছি এবং আমরা সঠিক ছিলাম।" ফিলিস্তিনের জঙ্গী গোষ্ঠী হামাস যা গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে, তারাও এই চুক্তি নাকচ করেছে এবং বলেছে যে, এর লক্ষ্য হচ্ছে "ফিলিস্তিনিদের জাতীয় প্রকল্প নিঃশেষ করে দেয়া।" জাতিসংঘ বলেছে যে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগে যখন ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও গাজা দখল করে নেয় সে অঞ্চলে সীমান্ত রেখা স্থাপনের মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রের সমাধানে অটল থাকবে তারা। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ এমন একটি শান্তি চুক্তি চায় যা জাতিসংঘের প্রস্তাবনা, আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্মতির ভিত্তিতে হবে। ইসরায়েলের মানবাধিকার গোষ্ঠী বি'সালেম বলে, এই প্রস্তাবটি এক ধরণের জাতি-বিদ্বেষ তৈরি করবে। এটা বলে যে, ফিলিস্তিনিদের পরিণত করা হবে "ক্ষুদ্র, বেষ্টিত, বিচ্ছিন্ন ছিটমহলে, যাদের নিজেদের জীবনের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।" পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি এলাকা এবং ইহুদী বসতির মাঝখানে দেয়াল দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসরায়েলের পিস নাউ সংস্থা বলে, এই পরিকল্পনা "বাস্তবতার সাথে সম্পর্কহীন এবং আকর্ষণীয়।" "বসতিগুলোকে ইসরায়েলের সাথে যুক্ত করার সবুজ সংকেত দেয়ার বিনিময়ে ত্রুটিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা অবাস্তব এবং এটি স্থিতিশীলতা আনবে না," সংস্থাটি বলে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব ফিলিস্তিনিদের আহ্বান জানিয়েছেন এই পরিকল্পনাটি নিয়ে "আসল এবং ন্যায্যভাবে বিবেচনা করতে এবং এর মাধ্যমে সমঝোতা আলোচনায় ফিরে যাওয়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে কিনা তা বিবেচনা করতে।" পেছনের ঘটনা কী? ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে ফিলিস্তিন। জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তরের ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর এই পদক্ষেপ নেয় দেশটি। তখন থেকে, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের জন্য সব ধরণের দ্বিপক্ষীয় সহায়তা বন্ধ করেছে এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক সংস্থা রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি-ইউএনআরডাব্লিউএ'র জন্য সব ধরণের অনুদানও বন্ধ করেছে। নভেম্বরে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন যে, পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী- চার দশকের এমন অবস্থান থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার একটি জরুরী বৈঠক ডেকেছে আরব লীগ। কোন কোন বিষয় ঝুঁকির মুখে রয়েছে? মধ্যপ্রাচ্যের অন্য যেকোনো সংঘাতের চেয়ে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সবচেয়ে একগুঁয়ে। যদিও ১৯৯৩ সালে দুই পক্ষ একটি শান্তি চুক্তিতে সই করেছিল, তারপরেও ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে দুই পক্ষ একে অপর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে। জেরুসালেম : ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয়েই এই শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। ইসরায়েল যারা ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে এর পূর্বাঞ্চল দখল করে নিয়েছিল, তারা পুরো জেরুসালেমকেই নিজেদের রাজধানী দাবি করে। ফিলিস্তিনারও পূর্ব জেরুসালেমকে-যেখানে তাদের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বাস করে- তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী দাবি করে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মর্যাদা: ফিলিস্তিনিরা নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চায়। যার মধ্যে থাকবে পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুসালেম। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছেন কিন্তু এটির যে আকার হবে তা নিয়ে তার আপত্তি রয়েছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে ডিমিলিটারাইজড এবং তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার সক্ষমতা থাকবে কিন্তু তা ইসরায়েলের প্রতি হুমকি হবে না। স্বীকৃতি: ইসরায়েলের দাবি, যেকোনো ধরণের শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলকে "ইহুদিদের জাতি রাষ্ট্র" হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি থাকতে হবে। তারা মনে করে, এটি না হলে ফিলিস্তিনিরা ইহুদীদের ভূমির উপর তাদের মালিকানার দাবি অব্যাহত রাখবে, যার কারণে সহিংসতা থেকেই যাবে। ফিলিস্তিনিরা বলে যে, ইসরায়েল যা দাবি করে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়, কিন্তু ইসরায়েলকে ইহুদী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াটা হবে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আরব বাসিন্দা, যারা মুসলিম, খ্রিস্টান এবং দ্রুজ তাদের স্বার্থ বিরোধী। সীমানা: ফিলিস্তিনের সীমানা কোথায় হওয়া উচিত তা নিয়ে দুই পক্ষেরই আলাদা মতবাদ রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৯৪৯ এবং ১৯৬৭ সালের অস্ত্র বিরতি চুক্তি যা ইসরায়েলকে পূর্ব জেরুসালেম, গাজা এবং পশ্চিম তীর থেকে আলাদা করেছিল সে অনুযায়ী সীমানা রেখা হওয়া উচিত। ইসরায়েল বলে, ওই রেখাগুলো সামরিকভাবে অরক্ষনীয়/অযৌক্তিক এবং এগুলো কখনোই স্থায়ী হতে পারে না। তারা বলেনি যে কোথায় সীমান্ত হওয়া উচিত তবে এটা বলেছে যে তাদের নিজেদের পূর্ব সীমানা হওয়া উচিত জর্ডান নদীর তীর ধরে। বসতি: ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল প্রায় ১৪০টি বসতি গড়ে তুলেছে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেম। যার মধ্যে ১২১টি আউটপোস্ট বসতি সরকারের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলোতে প্রায় ৬ লাখ ইহুদী বাস করে। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বসতিকে অবৈধ মনে করে থাকে, যদি ইসরায়েল এর বিরোধিতা করে। ফিলিস্তিনিরা বলে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তৈরির জন্য এসব বসতি সরিয়ে ফেলা উচিত। মিস্টার নেতানিয়াহু এসব বসতি কখনোই সরিয়ে ফেলা নয় বরং এসব এলাকা ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলছেন। শরণার্থী: জাতিসংঘ বলছে, প্রায় ৫৫ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে মধ্যপ্রাচ্যে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তারা (ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে যে শরণার্থীর সংখ্যা ৬০ লাখ)।এদের মধ্যে ১৯৪৮-৪৯ সালের যুদ্ধের সময়ে ইহুদী বাহিনীর হাতে যারা বিতাড়িত হয়েছিলেন সেসব ফিলিস্তিনিদের বংশোধররাও রয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা তাদের পক্ষ থেকে দাবি তোলে যে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল তা অস্বীকার করছে। আরো খবর: বাংলাদেশে এতো বেশি কুয়াশার কারণ কী? ধর্মান্তরিত পরিবারকে ভারতে ফেরত পাঠানোর নেপথ্যে আড়ং কর্মীর মোবাইলে চেঞ্জিং রুমের শতাধিক ভিডিও কুমারীত্ব পুনরুদ্ধার: কেন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে? মেয়র-কাউন্সিলর পোস্টারে ২৫০০টন প্লাস্টিক বর্জ্য প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরের পর বছর সময় লাগে যে দেশে | US President Donald Trump has presented his long-awaited Middle East peace plan, promising to keep Jerusalem as Israel's undivided capital. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | ভিডিও ফুটেজ : বাস 'চালাচ্ছে' হনুমান বাসের যে ৩০ জনের মত যাত্রী ছিলেন, তারা কোনো অভিযোগ করেননি। কিন্তু বাসের স্টিয়ারিং হনুমানের হাতে তুলে দেওয়ার ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ হয়ে পড়লে বাস কোম্পানি সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেয়। কোম্পানির একজন মুখপাত্র বলেন, 'বানরকে স্টিয়ারিং তুলে দিয়ে' যাত্রীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে হনুমানের বাস 'চালানোর' ভিডিওটি দেখার পর বাস কোম্পানির দেওয়া শাস্তির প্রতি সমর্থন দেখাননি বহু মানুষ। টুইটারে পরাগ হেদা নামে একজন লিখেছেন, "চমৎকার। কেন সাসপেন্ড করা হলো? তাকে সাবধান করে ছেড়ে দেওয়া যেত।" প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন একজন যাত্রী হনুমানটিকে নিয়ে বাসে ওঠেন। কিন্তু অন্য কোথাও না বসে হনুমানটি সোজা চালকের সামনে গিয়ে বসে। চালক এম প্রকাশ ততটা না ভেবে তার নতুন বন্ধুকে স্টিয়ারিং হুইলের ওপর বসিয়ে দেন। তবে বলতেই হবে যে চালক এম প্রকাশের একটি হাত সবসময় স্টিয়ারিং ওপরেই ছিল। হনুমানটিরও তীক্ষ্ণ একাগ্র নজর ছিল রাস্তার ওপর। জানা গেছে, গন্তব্যে পৌঁছে 'চালক' হনুমান প্রকাশের হাতে স্টিয়ারিংয়ের দায়িত্ব বুঝে দিয়ে নেমে যায়। | An Indian bus driver has been suspended - for letting a monkey "drive" his bus. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গা-হাঙ্গামার পর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন। কংগ্রেসের নিম্ন-কক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সী পেলসি বলছেন, মি. ট্রাম্প যদি এই মুহূর্তে পদত্যাগ না করেন তাহলে তারা বিচারের লক্ষ্যে একটি সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ নিয়ে কাজ শুরু করবেন। মি. ট্রাম্পের বিরুদ্ধে 'অভ্যুত্থানে উসকানি' দেয়ার অভিযোগটি হাউস ডেমোক্র্যাটরা সোমবার দায়ের করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উসকানিতে কংগ্রেসের ভেতরে বুধবারের দাঙ্গাহাঙ্গামার ঘটনাটি ঘটে, যার জেরে পাঁচ ব্যক্তি প্রাণ হারায়। ক্যাপিটল ভবনে অ্যব্রাহাম লিঙ্কনের এক ভাষ্কর্যের পাশে মুকোমুখি পুলিশ আর দাঙ্গাকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস। তবে তিনি "বহুদিন ধরে জানতেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত নন।" হোয়াইট হাউস বিচার করার উদ্যোগকে নাকচ করে বলেছে এটি 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' এবং এতে "আমাদের মহান দেশ আরও বিভক্ত হয়ে পড়বে।" হাউস অফ রিপ্রেজেনেটেটিভে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১৬০ প্রতিনিধি ইতোমধ্যেই আর্টিকেল অফ ইমপিচমেন্ট অর্থাৎ সংসদীয় বিচারের আইনের খসড়াটিতে সই করেছেন। বুধবার কংগ্রেসে ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে আটক থাকা অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান টেড লিউ এবং রোড আইল্যান্ডের কংগ্রেসম্যান ডেভিড সিসিলিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচারে আইনের খসড়াটি লিখতে শুরু করেন। হোয়াইট হাউজের অদূরে সমর্থকদের সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন ডেনাল্ড ট্রাম্প। দেখুন সম্পর্কিত খবর: উদ্যোগটি যদি সত্যিই কার্যকর হয়, তাহলে এটি হবে মি. ট্রাম্পের বিচারের জন্য হাউস অফ রেপ্রেজেনটেটিভের দ্বিতীয় দফা প্রচেষ্টা। এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কংগ্রেসের কাজে বাধাদানের অভিযোগে সংসদের নিম্ন কক্ষে মি. ট্রাম্পের বিচার করা হয়। কিন্তু পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদের উচ্চ-কক্ষ সেনেটে দুটি অভিযোগই খারিজ হয়ে যায়। মার্কিন ইতিহাসে কোন প্রেসিডেন্টই দু'বার বিচারের সম্মুখীন হননি। তবে মি. ট্রাম্পের শাস্তির সম্ভাবনা কম কারণ সেনেটে মি. ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পাটি বেশ শক্তিশালী। সিনেটে একজন নরমপন্থী রিপাবলিকান অ্যালাস্কার লিসা মারকোস্কি অ্যাঙ্কোরেজ ডেইলি নিউজ পত্রিকাকে বলছেন, মি. ট্রাম্পের "এখন উচিত হবে কেটে পড়া।" আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন হামলা নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটার বেস স্যাসি নিয়মিতভাবে মি. ট্রাম্পের সমালোচনা করে থাকেন। তিনি বলছেন, বিচারের উদ্যোগ নেয়া হলে তিনি অবশ্যই সেটা সমর্থন করবেন। তবে মি. ট্রাম্পের শাস্তির পক্ষে তার দলের বেশিরভাগ সদস্য রয়েছেন এমন কোন প্রমাণ এখনও নেই। এর মানে হলো কংগ্রেসের দাঙ্গার জন্য সংসদের নিম্ন-কক্ষে মি. ট্রাম্পের যে কোন বিচার হলে সেটা হবে মূলত প্রতীকী। কংগ্রেসের বাইরে পুলিশকে ঘিরে ধরেছে বিক্ষোভকারীরা। সেনেটের একটি অভ্যন্তরীণ মেমো থেকে জানা যাচ্ছে, নিম্ন কক্ষ থেকে আসা কোন বিচারের সিদ্ধান্ত সেনেট ১৯শে জানুয়ারির আগে অনুমোদনের জন্য বিবেচনা করতে পারবো না। আর সেটি হবে মি. ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার আগের দিন। এই ক্ষেত্রে ক্ষমতা ত্যাগের পরও সেনেটে মি. ট্রাম্পের বিচার চলতে পারে কিনা তা নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। যদি বিচারে দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে সাবেক প্রেসিডেন্টে হিসেবে মি. ট্রাম্প তার প্রাপ্য বেতন-ভাতাদি কছুই পাবেন না। তিনি যাতে ভবিষ্যতে কোন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন, সেনেটাররা সেই প্রস্তাবও অনুমোদন করতে পারেন। কংগ্রেসের দাঙ্গার ঘটনাতে মার্কিন রাজনীতিকরা একটাই নাড়া খেয়েছেন যে তাদের অনুরোধে ডেমোক্র্যাটিক হাউস স্পিকার ন্যান্সী পেলোসি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ অধিনায়কদের সাথে কথা বলেছেন যাতে মি. ট্রাম্প পরমাণু অস্ত্রের কোড ব্যবহার করতে না পারেন। বিবিসি বাংলায় অন্যান্য খবর: | US Democrats plan to introduce an article of impeachment against President Donald Trump for his role in Wednesday's invasion of the US Capitol. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | তখন থেকেই হ্যারি তার মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন, বিশ্ব জুড়ে দাতব্য কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। তিনি বিয়ে করেছেন এবং পিতা হয়েছেন। এখন তিনি এবং ডাচেস অব সাসেক্স নতুন একটি অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন: তারা তাদের রাজকীয় দায়িত্ব, উপাধি এবং সরকারি তহবিল ত্যাগ করছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে- তারা তাদের বেশিরভাগ সময় কাটাবেন কানাডাতে। হ্যারি তার ব্যক্তিগত এবং দাপ্তরিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে চেষ্টা করেছেন। অনেক সময়, রাজ মুকুটের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রচারণা তাকে দাতব্য প্রচেষ্টায় সমর্থন জোরালো করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু অনেক সময় আবার এই মনোযোগ অতিরিক্ত হয়ে দেখা দিয়েছে এবং তিনি তার পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষায় কঠোরভাবে লড়েছেন। বাল্যকাল ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি প্রিন্স এবং প্রিন্সেস অব ওয়েলসের দ্বিতীয় সন্তান ১৯৮৪ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর পেডিংটনের সেন্ট মেরি'স হসপিটালে জন্ম নেন হ্যারি। সে বছরের ডিসেম্বরে উইন্ডসরের সেন্ট জর্জে'স চ্যাপেলে আর্চবিশপ অব ক্যানটারবারি তাকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করে তার নামকরণ করেন হেনরি চার্লস অ্যালবার্ট ডেভিড। কিন্তু জন্মের পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বলা হয় যে তিনি হ্যারি নামে পরিচিত হবেন। আরো পড়তে পারেন: রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগ ছাড়া উপায় ছিল না: প্রিন্স হ্যারি প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারে সংকট ছবিতে প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের দাম্পত্য জীবন যদিও নাম রাখা হয়েছিল হেনরি, তিনি সব সময় হ্যারি নামেই পরিচিত ছিলেন ১৯৯৩ সালে থর্প পার্কে মা এবং ভাইয়ের সাথে বেড়াতে যান হ্যারি ১৯৯৭ সালে তার মায়ের মৃত্যু হলে তার শৈশব জীবনও সংক্ষিপ্ত হয়ে আসে। ২০১৭ সালে ডেইলি টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স বলেছিলেন, "আমি বলতে পারি যে, ১২ বছর বয়সে আমার মাকে হারানো এবং এ কারণে গত ২০ বছর ধরে আমার সব আবেগকে দমিয়ে রাখার বিষয়টি শুধু আমার ব্যক্তিগত জীবন নয় বরং আমার কাজের উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।" ডায়ানার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে বাবা প্রিন্স চার্লস এবং বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রিন্স হ্যারি শিক্ষাক্ষেত্রেও বড় ভাই উইলিয়ামের পথই অনুসরণ করেছেন তিনি, ১৯৯৮ সালে ইটনে যাওয়ার আগে নটিংহিলের ওয়েদারবি স্কুলে পড়াশুনা করেন। পাঁচ বছর বয়সে নটিংহিলে ওয়েদারবি স্কুলে হ্যারির প্রথম দিন। ১৯৯৫ সালে ইটন কলেজের প্রবেশ বইয়ে ভাইয়ের সই করা দেখছেন প্রিন্স হ্যারি- তাকে অনুসরণ করে তিন বছর পর তিনিও একই প্রতিষ্ঠানে যান। ২০০৩ সালে দুটি এ লেভেল শেষ করার পর ইটন ত্যাগ করার পর এক বছরের বিরতি নেন হ্যারি। অস্ট্রেলিয়ায় একটি ভেড়ার খামারে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং লেসোথোতে একটি এতিমখানায় সহায়তা করার বিষয়টি পরবর্তীতে সেখানে তার একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পথকে সুগম করে। স্পট লাইটের জীবন সুইজারল্যান্ডে বার্ষিক স্কিং হলিডে-তে দুই ছেলেকে নিয়ে যান প্রিন্স চার্লস হ্যারির জীবনে সংবাদ মাধ্যমের মনোযোগ পাওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিয়মিত ব্যাপার ছিল। ২০০২ সালে তৎকালীন সংবাদ মাধ্যম নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড(বর্তমানে বিলুপ্ত) তাদের প্রথম পাতায় সংবাদ শিরোনাম করে ছেপেছিল: "হ্যারির মাদক বিতর্ক", এবং দাবি করেছিল যে, প্রিন্স চার্লস তার ছেলেকে গাঁজা খাওয়ার কারণে শাস্তি স্বরূপ পুনর্বাসন ক্লিনিকে পাঠিয়েছেন। সেন্ট জেমস'স প্যালেস নিশ্চিত করেছিল যে, সেসময় ১৭ বছর বয়সী "বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরীক্ষামূলক ভাবে মাদক নিয়েছিল" কিন্তু এই ব্যবহার "নিয়মিত" ছিল না। পড়াশুনায় এক বছরের বিরতির সময় আফ্রিকার লেসোথোতে একটি এতিমখানায় সময় কাটান প্রিন্স হ্যারি পরের বছর, ফ্যান্সি ড্রেস পার্টিতে প্রিন্সের নাৎসিদের পোশাক পড়া ছবি প্রকাশিত হলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ক্লারেন্স হাউস পরে জানিয়েছিল যে, যেকোনো ধরণের "অপরাধ এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি" তৈরির জন্য প্রিন্স ক্ষমা চেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন যে "তার পোশাক পছন্দের বিষয়টি ভাল ছিল না"। ২০০৯ সালে, এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে হ্যারি তার সেনা প্লাটুনের এক এশিয় সদস্যের বিষয়ে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করছেন। সেন্ট জেমস'স প্যালেস বলে যে, প্রিন্স তার "ভাষার কারণে সৃষ্ট যেকোনো অপরাধের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত" কিন্তু সাথে এটাও বলে যে তিনি "কোন ধরণের বিদ্বেষ থেকে তিনি ওই ভাষা ব্যবহার করেননি এবং তার প্লাটুনের একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় সদস্যের ডাক না হিসেবে তিনি সেটি ব্যবহার করেছেন।" লন্ডনে ২০১২ সালের গেমসে অলিম্পিক অ্যাম্বাসেডর ছিলেন প্রিন্স হ্যারি ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক গেমসে অলিম্পিক অ্যাম্বাসেডর হিসেবে গণমাধ্যমের তার ভূমিকা নিয়ে খবর উপভোগ করেছেন তিনি। একই বছর রানীর জয়ন্তী উপলক্ষে তিনি ক্যামেরার সামনে অনেক সময় পার করেছেন। যাই হোক, সে বছর অগাস্টে, লাস ভেগাসে একটি হোটেলের কক্ষে এক তরুণীর সাথে প্রিন্সের নগ্ন ছবি প্রকাশিত হয়। পরে তিনি বলেন যে, "আমি একটি সংরক্ষিত এলাকাতে ছিলাম এবং সেখানে ন্যূনতম মাত্রায় হলেও গোপনীয়তা থাকা উচিত ছিল যা একজন মানুষ আশা করে।" সামরিক বাহিনী এবং দাতব্য কর্মকাণ্ড একজন অ্যাপাচি হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করেছেন হ্যারি হ্যারি প্রায় ১০ বছর সামরিক বাহিনীতে কাজ করেন, ২৫ বছরের মধ্যে তিনিই রাজপরিবারের একমাত্র সদস্য যিনি যুদ্ধাঞ্চলে কাজ করেছেন। তিনি হতাশ হয়েছিলেন যখন ২০০৭ সালে সেনাপ্রধান তাকে ইরাক পাঠাতে অসম্মতি জানান "অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি"র কারণ দেখিয়ে, কিন্তু পরে ২০০৮ সালে আফগানিস্তানে তিনি ১০ সপ্তাহ দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি কিভাবে এক তালেবান বিদ্রোহীকে গুলি করেছিলেন এবং বলেন যে, এটা তার জন্য "যেমনটা হওয়ার কথা ছিল তেমন স্বাভাবিকই" ছিল। হ্যারি বলেন, সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেয়াটা "কঠিন সিদ্ধান্ত" ছিল। যখন তিনি ঘোষণা দেন যে ২০১৫ সালে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিচ্ছেন তখন তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী কাটানো সময় "বাকি জীবন সব সময় আমার সাথে থাকবে"। এটা তার দাতব্য কর্মকাণ্ডেও ফুটে উঠেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং তাদের সহযোগিতাকেই প্রাধান্য দিয়েছে। ইনভিক্টাস গেমসের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন প্রিন্স হ্যারি ১৯৯৭ সালে অ্যাঙ্গোলায় সক্রিয় মাইন পুঁতে রাখা মাঠের উপর দিয়ে হেঁটে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন ডায়ানা। সেপ্টেম্বরে অ্যাঙ্গোলা সফরের সময় হ্যারি বলেন, মাইন পুঁতে রাখা মাঠগুলো "যুদ্ধের আরোগ্য না হওয়া ক্ষত" বিভিন্ন দাতব্য কর্মকাণ্ডে এক সাথে কাজ করেছেন হ্যারি এবং তার ভাই উইলিয়াম নিজের সেই সফরের সম্পূর্ণ প্রভাব-যেমন অস্ত্র নিষিদ্ধ করার আন্তর্জাতিক একটি চুক্তি সই- দেখার আগেই সে বছরই প্যারিসে মারা যান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হ্যারি যখন তার(ডায়ানার) পদাঙ্ক পুনরায় অনুসরণ করতে শুরু করেন, তখন তিনি তার অর্জনগুলো তুলে ধরেন। মানসিক আঘাত মোকাবেলা ২০১৭ সালে লন্ডনের একটি ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের সমর্থন দেন প্রিন্স হ্যারি এবং ডিউক এন্ড ডাচেস অব কেমব্রীজ। সম্প্রতি বছরগুলোতে, হ্যারি তার মায়ের মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিয়েছেন। ২০১১ সালের এপ্রিলে তার ভাই উইলিয়ামের বিয়েতে বেস্টম্যান ছিলেন হ্যারি এবং তখন থেকে তিনি বলছেন যে, সেখানে ডায়ানা উপস্থিত না থাকাটা কতটা কষ্টের ছিল। ডেইলি টেলিগ্রাফে দেয়া হঠাৎ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০ বছর ধরে তিনি তার আবেগ এবং তার মা সম্পর্কে চিন্তা করাটাকে দমিয়ে রেখেছেন। 'সুন্দর বিস্ময়' ২০১৭ সালে ইনভিক্টাস গেমসে প্রথম একসাথে ফ্রেমবন্দী হন প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেল। বিশ্বের অন্যতম হাই প্রোফাইল ব্যাচেলর হওয়ার কারণে, হ্যারির প্রেমের বিষয় নিয়েও বছরের পর বছর ধরে মানুষের আগ্রহ ছিল। ২০১৬ সালের শেষের দিকে, এক বিবৃতিতে তিনি মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সাথে নতুন সম্পর্ক গড়ার কথা নিশ্চিত করেন। সাথে অভিযোগও তোলেন যে, সাংবাদিকরা তাকে(মেগানকে) হয়রানি করেছে। ২০১৮ সালের মে মাসে উইন্ডসরের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে এই যুগল বিয়ে করে এবং ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স বলে অভিহিত হন। বিয়ের দিন ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স সে বছর অক্টোবরে ১৬ দিনের অস্ট্রেলিয়া সফরে ডিউক এবং ডাচেস ঘোষণা দেন যে, তারা তাদের প্রথম সন্তান আশা করছেন, এবং তারা তাদের এই "ব্যক্তিগত আনন্দের" খবর জানিয়ে খুশি। ২০১৯ সালের ৬ই মে বেবি আর্চি জন্মগ্রহণ করেন। প্রিন্স হ্যারি বলেন, তার প্রথম সন্তান আর্চির জন্মগ্রহণে "সম্পূর্ণভাবে শিহরিত" হয়েছেন তিনি। পরবর্তী অধ্যায় ডিউক গত বছরটিতে নানা চড়াই-উৎরাই পার করেছেন। আইটিভি'র এক ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয় যে, ডাচেস স্বীকার করেন যে রাজপরিবারের সাথে মানিয়ে চলতে তাকে বেগ পেতে হচ্ছে। একই সময়ে ডিউক বলেন যে, প্রতিনিয়তই তার মানসিক স্বাস্থ্যের 'খেয়াল রাখতে হচ্ছে'। কিন্তু তার ভবিষ্যতের বেশিরভাগ বিষয়- যেমন তার স্ত্রী এবং ছেলের সাথে তিনি আসলে কোথায় বাস করবেন- এখনো স্পষ্ট নয়। | The Duke of Sussex grew up in the media spotlight - from a young royal dealing with his mother's death, through his partying teenage years, to his career in the military. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ'র ভাষ্য অনুযায়ী এই অস্ত্রের উৎক্ষেপন কিম জং-আন নিজে তদারকি করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানদের বরাত দিয়ে জানানো হয় যে উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলের হোদো উপদ্বীপ থেকে চালানো হয় এই পরীক্ষা। গত মাসে পিয়ংইয়ংয়ের এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যবহার হওয়া অস্ত্রকে নতুন 'ট্যাকটিকাল গাইডেড ওয়েপন' বা কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত হওয়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর এই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করলো উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া 'পূর্ব উপকূলের হোদো উপদ্বীপের ওনসান শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে একাধিক ছোট পরিসরের মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে' বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানরা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তারা জানায়, মিসাইলটি ৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার (৪৫ থেকে ১২৫ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে। এর আগেও বড় পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য হোদো উপদ্বীপকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশে গেলে শামীমা বেগমের মৃত্যুদণ্ড হবে' ফণী নিয়ে কতটা আতঙ্কের কারণ রয়েছে বাংলাদেশে দেহরক্ষীকে বিয়ে করে রানি বানালেন থাই রাজা উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ'র ভাষ্য অনুযায়ী এপ্রিল মাসে হওয়া এই কৌশলগতভাবে নির্দেশিত অস্ত্রের উৎক্ষেপন কিম জং-আন নিজে তদারকি করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষাতে 'বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিবিধ পদ্ধতিতে মিসাইল ছোঁড়ার' বিষয়টি যাচাই করা হয়। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এই অস্ত্রটি ভূ-পৃষ্ঠ, সাগর এবং বায়ু, তিন মাধ্যম থেকেই উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। এই অস্থটি মিসাইল কিনা তা নিয়ে এখনো সন্দেহ রয়েছে, তবে অধিকাংশ পর্যবেক্ষক মনে করেন যে এটি একটি ছোট পরিসরের অস্ত্র ছিল। গত বছর মি. কিম বলেছিলেন তারা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে না এবং আন্ত:মহাদেশীয় ব্যলিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ বন্ধ করবে। তবে এই প্রতিশ্রুতি স্বত্তেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম চলছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসেও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জায়গায় কাজ চলার আভাস পাওয়া গেছে। উত্তর কোরিয়া দাবি করে তারা এত ক্ষুদ্র নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করেছে যা দীর্ঘ পরিসরের মিসাইল বা ব্যলিস্টিক মিসাইলে করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম। | North Korea has tested several short-range missiles, according to reports from South Korea. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | তুরস্ক আর গ্রিসের সীমান্তে আটকে পড়া শরণার্থীদের একটি দল। অভিবাসী ও শরণার্থীরা যেন তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দিকে যেতে না পারে সেজন্যে ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের করা চুক্তি তুরস্ক আর বাস্তবায়ন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তারপরই তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই হুঁশিয়ারি দিলেন। গ্রিস সীমান্তে এরই মধ্যে অভিবাসীদের ঢল নেমেছে। হাজারো অভিবাসীকে আটকাতে সীমান্তে গ্রিক পুলিশকে টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে গ্রিস এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের জরুরী সাহায্য চেয়েছে। মিস্টার এরদোয়ান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তার দেশে যদি নতুন করে সিরিয়ান শরণার্থীদের ঢল নামে, সেটা তারা সামলাতে পারবেন না। এরই মধ্যে প্রায় দশ লাখ সিরিয়ান ইদলিব থেকে তুরস্ক সীমান্তে পালিয়ে এসেছে। ইদলিবে তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। তুরস্কে সিরিয় শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৭ লাখা। আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা অনেক অভিবাসীও রয়েছে তুরস্কে। এই অভিবাসীরা ইউরোপে যেতে চায়। কিন্তু তুরস্ক এতদিন পর্যন্ত তাদের ঠেকিয়ে রেখেছে। কাঁটা তারের বেড়া টপকে গ্রীসে ঢোকার চেষ্টা করছে শরণার্থীরা টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে মিস্টার এরদোয়ান বলেছে, সিরিয়ার শরণার্থীদের যেন সিরিয়ার নিরাপদ অঞ্চলে পুনর্বাসন করা যায়, সেজন্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে কোনরকম সাহায্য করেনি। গত সপ্তাহে তুরস্ক যখন এই অভিবাসী এবং শরণার্থীদের ইউরোপে ঢোকার জন্য সীমান্ত খুলে দেয় তখন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছিলেন, "হাজার হাজার মানুষ এর মধ্যে সীমান্ত পার হয়েছে, শীঘ্রই এই সংখ্যা লাখ লাখে পৌঁছাবে।" অন্যান্য খবর: মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি: সফর বাতিল হচ্ছে না ধরা যাক আপনি করাচীতে থাকা এক বাঙালি ঢাকার বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যপরীক্ষা: বিবিসি সংবাদদাতাদের চোখে ইউরোপের সীমান্তে এরই মধ্যে হাজার হাজার অভিবাসীর ঢল নেমেছে তবে এই সংখ্যা তিনি কোথায় পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার কোন প্রমাণ দেননি। তবে গ্রিস বলেছে, তুরস্ক থেকে প্রায় হাজার খানেক অভিবাসী রোববার তাদের পূর্ব এজিয়ান সাগরের দ্বীপগুলোতে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় আরও প্রায় দশ হাজার মানুষকে তারা স্থল সীমান্ত অতিক্রমের সময় আটকে দিয়েছে। বাধার মুখে পড়া অভিবাসীরা পাথর ছুঁড়ে মারে। গ্রিসের সীমান্ত রক্ষীরা তখন টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এই অভিবাসীদের মধ্যে সিরিয়ানরা ছাড়াও আফগান এবং পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আছেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল মঙ্গলবার সীমান্তে যাচ্ছেন পরিস্থিতি দেখতে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, "হয় আমরা এই মানুষগুলোকে তাদের নিজেদের দেশে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে দেব, নতুবা সবাইকে তাদের ভার বহন করতে হবে। একতরফা আত্মত্যাগের দিন শেষ হয়ে গেছে।" শরণার্থীদের সঙ্গে গ্রিসের সীমান্ত রক্ষীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গ্রিক সরকার তুরস্কের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, "শরণার্থী আর অভিবাসীদের পাচারের চ্যানেল বন্ধ করার পরিবর্তে তুরস্ক নিজেই এখন পাচারকারীতে পরিণত হয়েছে।" ইউরোপীয় সীমান্ত রক্ষা সংস্থা 'ফ্রন্টেক্স' বলছে, দ্রুত ইউরোপীয় সীমান্ত রক্ষী মোতায়েনের মাধ্যমে গ্রিসকে কিভাবে সাহায্য করা যায় সেটি তারা পরীক্ষা করে দেখছে। | The Turkish president has warned that "millions" of migrants and refugees will soon head towards Europe. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | পাথরের এই স্মৃতিস্তম্ভটি নবতায়িয়ানদের তৈরি করা অন্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। নবতায়িয়ান সংস্কৃতি নামে পরিচিত সেই সভ্যতার অত্যন্ত জটিল ও উন্নত কিছু পাথরের স্মৃতিস্তম্ভ সেই সময়ে সাক্ষ্য দিলেও এখনো অনেকগুলি সাইট অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সৌদি আরবের আল উলার শিলাকীর্ণ মরুভূমির কুচকুচে কালো আকাশের জন্য পরিচিত। কারণ, এখানে স্টারগেজার বা তারা দেখতে আসা মানুষেরা কোন ধরণের আলোক দূষণ ছাড়াই মহাজাগতিক বস্তু পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কিন্তু এগুলো ছাড়াও ধীরে ধীরে এই এলাকাটি প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি সভ্যতার বাস ছিল এই অঞ্চলে যা পরিচিত ছিল নবতায়িয়ান সভ্যতা নামে। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ বর্ষ থেকে শুরু করে পরবর্তী ২০০ বছর টিকেছিল এই সভ্যতা। নবতায়িয়ান শাসকরা তাদের সাম্রাজ্য শাসন করতেন মনোমুগ্ধকর শহর পেত্রা থেকে যা জর্ডানে অবস্থিত। আল উলা'য় তারা তাদের দ্বিতীয় রাজধানী হেগ্রা(আধুনিক নাম মাদা ইন সালেহ)স্থাপন করেছিল। আরো পড়ুন: আধুনিক শহরের পেছনে ভূমিকা রাখছে প্রাচীন সভ্যতা ডারউইনের বহু আগে মুসলিম বিজ্ঞানীর মুখে বিবর্তনবাদ পশ্চিমাদের আগে গণিতে যেভাবে বিপ্লব ঘটিয়েছে ভারত বর্তমানে, প্রত্নতত্ত্ববিদরা ওই এলাকায় একটি বিস্তীর্ণ ভূমি যা প্রায় বেলজিয়ামের সমান, সেখানে বিশদভাবে জরিপ চালানোর পরিকল্পনা করছেন। সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ৩৩শ বর্গকিলোমিটার এলাকায় দুই বছরব্যাপী একটি জরিপ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ৬০ জন বিশেষজ্ঞের একটি আন্তর্জাতিক দল কাজ শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো এতো বড় এলাকায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রক্রিয়াগত-ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নবতায়িয়ান সমাধিক্ষেত্র নবতায়িয়ান্স •তারা আরবের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাস করতো খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে শুরু করে ১০৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে। •জর্ডানের পেত্রা ছিল তাদের রাজধানী, কিন্তু সৌদি আরবের মাদা'ইন সালেহও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। •তাদের পরিশীলিত স্থাপত্য ঐতিহ্য মেসোপটেমীয় এবং গ্রিকদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত ছিল। মন্দির এবং সমাধির প্রবেশ মুখ তারা পাথরের পাহার খোদাই করে তৈরি করেছিল। •নবতায়িয়ানদের অনেক গ্রাফিতি এবং লিপির উদাহরণ মিললেও এখনো তাদের বাস্তবিক কোন লেখা বা সাহিত্যের সন্ধান মেলেনি। •রোমান সম্রাট ট্রাজানের দখলে যাওয়ার পর থেকে নবতায়িয়া হিসেবে স্বাধীন সভ্যতার মর্যাদা হারায় তারা। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: ব্রেক্সিট চুক্তি: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় ইইউ ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে শিলিগুড়ি যাবে ভারতের ট্রেন জর্ডানের পেত্রায় নবতায়িয়ানরা তাদের রাজধানী স্থাপন করেছিল। সৌদির প্রত্নত্ত্বাতিকদের নেতৃত্বে মাদা'ইন সালেহ-এর আশেপাশে এবং উল্লেখযোগ্য নবতায়িয়ান সাইটগুলোতে খনন কাজ চালানো হয়েছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আবদুলরাহমান আলসুহাইবানি। "আমি পূর্বের দেদানাইত এবং লিহিয়ানাইত সভ্যতার উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি," তিনি বলেন। "এখন আল উলা'র প্রকল্পে রয়্যাল কমিশন সংশ্লিষ্ট থাকায়, প্রাথমিক সমাজ ব্যবস্থা কিভাবে বিকশিত হয়েছিল তা আরো গভীর ভাবে বোঝার বড় ধরণের সুযোগ তৈরি হবে।" রয়্যাল কমিশন জড়িত থাকার মানে হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ প্রত্নতাত্ত্বিকদের সহায়তায় সর্বশেষ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। যেখানে গুগল আর্থ এবং অভিজ্ঞ চোখ মিলে এমনিতেই বলে দিতে পারে যে কোনটি প্রাকৃতিক আর কোনটি মানব তৈরি, সেখানে বিশেষায়িত ক্যামেরা সম্বলিত হাল্কা বিমান ওই এলাকার সবচেয়ে বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম। যার আওতায় রয়েছে আল উলা ওয়াদি এবং এর আশেপাশের উপত্যকা। এর মাধ্যমে এখনো পর্যন্ত অজানা প্রত্নতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য তুলে আনা সম্ভব। আল উলার রয়্যাল কমিশনের জরিপ বিষয়ক দলের প্রধান এবং মার্কিন প্রত্নতাত্ত্বিক রেবেকা ফুটি বলেন, আগের প্রকল্পগুলোতে মূলত খনন কাজের উপর জোর দেয়া হয়েছে। কারণ এ ধরণের সুশৃঙ্খল জরিপ পরিচালনার জন্য অনেক সময় এবং অর্থের দরকার যা কেবল এখন আছে। প্রাচীন প্রত্নতত্ত্বের খোঁজে আল উলা ওয়াদি এলাকায় জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তিনি বিশ্বাস করেন, সৌদি আরবের এই উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত দেশটিকে প্রাচীন ইতিহাসের মানচিত্রে জায়গা করে দেবে। "খ্রিস্টপূর্ব প্রথম থেকে তৃতীয় সহস্রাব্দ সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক তথ্য জানা গেছে এবং আমরা সবাই প্রাচীন মিশর এবং মেসোপটেমিয়া সম্পর্কে জানি," তিনি জানান। "এখন পর্যন্ত প্রাচীন সময়ের আরব উপত্যকা সম্পর্কে তুলনামূলক-ভাবে তেমন কিছুই জানা যায়নি। আমাদের পাওয়া তথ্য প্রাচীন ইতিহাস বুঝতে কিভাবে সহায়তা করবে সে সম্পর্কেও এখনো আমরা কিছু জানি না। কিন্তু মনে হচ্ছে যে, প্রাথমিক যুগ সম্পর্কে বৈশ্বিক মত পাল্টে দিতে পারে এটি।" জর্ডানে অবস্থিত প্রাচীন শহর পেত্রায় বহু বছর ধরে কাজ করছেন ফুটি। এই শহরটিতেই নবতায়িয়ান সভ্যতার সবচেয়ে আলোচিত স্মৃতিস্তম্ভগুলো রয়েছে। তিনি বলেন, আকাশ পথে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো হবে মূল চাবিকাঠি যার সাহায্যে ওই সভ্যতার সমাধিস্তম্ভের স্থাপত্য, দাঁড়িয়ে থাকা পাথর এবং আরো অন্যান্য অপ্রচলিত সাইট নিয়ে অনুসন্ধান চালানো সহজ হবে। আর তা না হলে বছরের পর বছর কেটে যাবে এগুলো খুঁজে বের করতে হলে। "এখন প্রযুক্তি অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য এবং বিস্তারিত ধারণা দেবে," তিনি বলেন। "এর আগে এতো বড় ধরণের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।" এরআগে ফরাসিদের নেতৃত্বে একদল খননকারী একটি ধূপ বাণিজ্যের নেটওয়ার্ককে ধরে ফেলে যারা আরবের পশ্চিমাঞ্চলের সক্রিয় ছিল এবং আল উলা হয়ে যাতায়াত ছিল তাদের। রেবেকা ফুটি এই তথ্যের উপর ভর করে আরো এগিয়ে যেতে চান এবং তিনি বুঝতে চান যে, ওই এলাকার উন্নয়নে পানি কিভাবে প্রভাব ফেলেছিল সে সম্পর্কে আরো জানতে চান তিনি। অনেক সভ্যতা এই এলাকায় গড়ে উঠেছিল এবং তাদের চিহ্ন রেখে গেছে। তিনি মন্তব্য করেন: "আমরা ধারণা করতে পারি যে তাদের একটি সফল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ছিল, কিন্তু তখন কি ধূপের উপর কোন ধরণের কর ছিল? তারা কিভাবে পানির চাহিদা পূরণ করতো?" হাইড্রোলজি বা পানি সম্বন্ধীয় গবেষণা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর এতে করে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে, বিমান নিয়ে কাজ করা প্রত্নতত্ত্ববিদ দলটিকে ধন্যবাদ, তাদের সাহায্য ছাড়া নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে জানা যেত না। দুই কিংবা তিন হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে, অক্সফোর্ডের প্রত্নতত্ত্বের জেমি কুয়ারটারমাইনের নেতৃত্বে থাকা জরিপ দলটি এরইমধ্যে প্রত্যাশিত সাড়ে এগারো হাজার সাইটের মধ্যে অর্ধেকেরই অবস্থান খুঁজে পেয়েছে। প্রতিরোধমূলক জরিপ নামে পরিচিত এই জরিপের মানে হচ্ছে, এসব প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় ভবিষ্যতে কোন ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা হবে না। "আমরা অন্য দেশের ভুল দেখে শিক্ষালাভ করেছি এবং আমরা যেকোন ধরণের ক্ষতি রুখতে বেশ সময় নিয়ে কাজ করছি," তিনি বলেন। "সাধারণ মানুষের কাছে উন্মুক্ত হলেও, যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে, তা আসলে সবার জন্য ছেড়ে দেয়া হবে না।" এই জরিপ অন্য বিশেষজ্ঞদের যেমন পাথর শিল্প সম্পর্কিত প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারবে। "এমনকি ৫ বছর আগেও জিপিএস ব্যবস্থা এতোটা নির্ভুল ছিল না," জেমি কুয়ারটারমাইনি বর্ণনা করেন। "আজ আমরা ফটোগ্রাফির বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছি যেমন ড্রোন, হাল্কা বিমানে সংযুক্ত ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিমান অরফো-ফটোগ্রাফি।" প্রতি দুই থেকে তিন সেকেন্ডে নতুন একটি করে ছবি দেয়ার মাধ্যমে, হাজার হাজার ছবি বিশ্লেষণ করে সত্যিকার দূরত্ব পরিমাপ করা যায়। বিশেষায়িত সফটওয়্যার এসব কিছুকে একটি উচ্চ রেজ্যুলিউশন সম্পন্ন এবং বিস্তারিত বর্ণনা সম্বলিত একটি ভূমিরূপ পাওয়া যাবে। ক্যামেরাগুলো ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঠিক করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত একটি সমাধিক্ষেত্র , ব্রোঞ্জ যুগের সমাধিক্ষেত্রের ভূমিরূপ এবং সমাধির গঠন। এছাড়াও, একই অ্যাঙ্গেলে ক্যামেরা সম্বলিত ড্রোনও রাখা হয়েছে। "এটি আমাদেরকে শুধু অনুভূমিক চিত্রই তুলে ধরে না বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে উল্লম্ব চিত্রও চোখে পড়ে," তিনি বলেন। "আমাদেরকে আগেই সতর্ক করা হয়েছে যে কিছু কিছু জায়গায় পাথরে শিল্পকর্ম মিলতে পারে।" জরিপের সর্বশেষ ধাপে, বিশেষায়িত দলের সদস্যদের পাঠানো হবে, যেমন পাথরে শিল্পকর্মের বিশেষজ্ঞ মারিয়া গুয়াগনিন, যিনি খালি পায়েই মাঠে ঘুরে বেড়ান। আরবের উত্তরাঞ্চলে ৫ বছর কাটানোর পর, মারিয়া শেষ পর্যন্ত অভিভূত হয়েছে এটা দেখে যে, সব যুগের তথ্য সম্বলিত বিশালাকার তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হয়েছে। আমর আল মাদানি আল উলাতে রয়্যাল কমিশনের হয়ে কাজ করেন। "প্রথমবারের মতো, প্রত্নতত্ত্বের সব দিক খতিয়ে দেখার সুযোগ পাচ্ছি আমরা," তিনি নির্দিষ্ট করে বলেন। "প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনো অনেকটা খননকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক এবং মহাসাগরীয় স্থানগুলির অবস্থানের উপর নির্ভরশীল।" "ধারণা করা হয় যে, আরবিয় উপত্যকা থেকে অনেক এরইমধ্যে অনেক প্রজাতি বিলোপ হয়েছে, কিন্তু সেগুলো শিলা চিত্রের প্যানেলে এখনো টিকে আছে।" আল উলাতে পূর্বে অঘোষিত স্তন্যপায়ী প্রজাতির উপস্থিতি তাদের অবস্থান, বাসস্থান এবং খাদ্যাভ্যাস যা সেই সময়ে প্রাগৈতিহাসিক প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলিতে রয়েছে সে সম্পর্কিত নতুন তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া কোন সময়ে কোন পশু ছিল সেটি সনাক্ত করতেও এসব চিত্রের সহায়তা নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ঘোড়া কিংবা উট খ্রিস্টপূর্ব ১২ অব্দের আগে থেকে ছিল। গৃহপালিত পশু, ভেড়া এবং ছাগল আরবিয় উপত্যকায় আনা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৬৮শ বা ৬২শ এর মাঝামাঝি অব্দে। এগুলো ভূ-মধ্যসাগরের পূর্বাংশে গৃহপালিত করে সৌদি আরবে আনা হয়। বিভিন্ন শিলা চিত্র থেকে এই সময় গুলো জানা যায়, কারণ ওই সময়ের আগে ওই এলাকায় গৃহপালিত কোন পশু ছিল না বলে অনুমান করা হয়। আল উলা আন্তর্জাতিক দলের সংগ্রহ করা এসব তথ্যে উল্লেখিত স্থানগুলো পেত্রার বিভিন্ন অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে এছাড়া পেত্রা এবং মাদা'ইন সালেহর মধ্যকার রাস্তাও আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। আবদুলরাহমান আলসুহাইবানি কয়েক বছর ধরে দেদান এলাকায় খনন চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি হচ্ছে এমন একটি সাইট যেখানে নবতায়িয়ানদের আগেরও সভ্যতার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বলেন যে, এমনটাও হতে পারে যে, এসব বিষয়ে জানতে কয়েক প্রজন্ম দরকার হতে পারে: "বিশ্বের দরবারে এই কাজগুলোকে যা অনেক বেশি মূল্যবান করে তুলেছে তা হল, মাদা'ইন সালেহ এবং পেত্রাই নয় বরং এর আগের সভ্যতা যা আমাদের কাছে অজানা তারও ইঙ্গিত রয়েছে।" আবদুলরাহমানের একটি দায়িত্ব হচ্ছে, বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া যারা আল উলায় একটি আউটপোস্টে কাজ করছে। "তারা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপক একটি জরিপের অংশ হিসেবে শিখছে এবং এর সাথে সম্পর্কিত খনন সম্পর্কে জানছে,"তিনি বলেন। "আজকের শিক্ষার্থীরাই হয়তো এমন আবিষ্কার করবে যা আমরা ভাবতে পর্যন্ত পারি না।" | A team of researchers is carrying out the first in-depth archaeological survey of part of Saudi Arabia, in a bid to shed light on a mysterious civilisation that once lived there. The Nabataean culture left behind sophisticated stone monuments, but many sites remain unexplored. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম বাড়িয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান বলেছেন, ইরানি বাহিনীর শত্রুতামূলক আচরণের পাল্টা জবাব হিসাবে তারা সেনা পাঠানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্কিন নৌবাহিনী আরো কিছু নতুন ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, সেগুলো ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে ইরানি হামলার ছবি। নতুন ঘোষণা এমন সময়ে এলো, যখন ইরান ঘোষণা করেছে যে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তারা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি অনুমোদিত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ৩০০কেজি পর্যন্ত স্বল্প মানের ইউরেনিয়াম উৎপাদন করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করার পর তারা ইউরেনিয়াম উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে ইরানকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছে চীন এবং পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে। আরো পড়ুন: হরমুজ প্রণালী ইরানের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ? আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা? আমেরিকার সাথে যুদ্ধ হলে ইরান ধ্বংস হবে - ট্রাম্প তেলের ট্যাংকারে হামলার পেছনে ইরানের হাত? হরমুজ প্রণালীতে টহল দিচ্ছে ইরানের নৌবাহিনী। অতিরিক্ত সেনা সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে? মার্কিন সময় সোমবার রাতের দিকে মধ্যপ্রাচ্যে আরো সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে লড়াই চায় না। তবে ওই অঞ্চলে আমাদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত সামরিক সদস্যদের নিরাপত্তা আর কল্যাণের জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।" তিনি বলেছেন, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সৈন্যদের সংখ্যা বাড়াবে বা কমাবে। মার্কিন নৌবাহিনী আরো কিছু নতুন ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, সেগুলো ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে ইরানি হামলার ছবি। তবে এই অতিরিক্ত সেনা কোথায় মোতায়েন করা হবে, সেসব বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর আগে গত মাসেই ১,৫০০ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর। তিনি রবিবার বলেছিলেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র, তবে সব বিকল্প বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর: বাংলাদেশের জয় নিয়ে ক্রিকেট তারকা, বিশ্লেষকরা যা বললেন ডিআর কঙ্গোর ভয়ংকর বিষধর সাপের মুখোমুখি বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা কতটা? হংকং বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু কে এই জোশুয়া ওং? ওমান উপসাগরে তেলের ট্যাাংকারে হামলার নতুন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। নতুন করে কেন উত্তেজনা বাড়ছে? ২০১৫ সালে পারমাণবিক কর্মসূচী সীমিত করতে বিশ্বের পরাশক্তির দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইরান। ওই চুক্তি অনুযায়ী, দেশটি তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচী সীমিত রাখবে, যা পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি হিসাবে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমনি অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহৃত হতে পারে। এর বদলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। তবে গত বছর ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এই পদক্ষেপের কারণে বিপর্যয়ে পড়ে ইরানের অর্থনীতি, যা মূলত দেশটির তেল বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। ফলে পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ইরান। এরই অংশ হিসাবে সোমবার ইরান ঘোষণা দিয়েছে যে, ২৭শে জুন নাগাদ তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের পরিমাণ চুক্তি সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে ইরান বলছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে রক্ষা করতে এখনো ইউরোপীয় দেশগুলোর হাতে 'যথেষ্ট সময়' আছে। একে 'পারমাণবিক চাঁদাবাজি' বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। | The US military will send an additional 1,000 troops to the Middle East as tensions build with Iran. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | ট্রেনে ব্যাপক মাত্রায় ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ফোন বিস্তারের ফলে কাজের দিনের সময়কে বাড়িয়ে দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব দ্যা ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ট্রেনে ব্যাপক মাত্রায় ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ফোন বিস্তারের ফলে কাজের দিনের সময়কে বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করার জন্য ৫ হাজার ট্রেন যাত্রীর সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে। তারা প্রতিদিন লন্ডনে ট্রেনে যাতায়াত করেন এবং সেখানে ওয়াই-ফাই সংযোগ রয়েছে। একজন যাত্রী বলেছেন " বাসায় আমাকে বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই আমি এই সময়টাকে কাজে লাগাই"। তিনি আরো যোগ করেন " এটা খুব স্বস্তি-দায়ক যে, আমি কাজটা ট্রেনে বসেই শেষ করতে পারছি'। বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন 'উত্তর পাড়ার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই' হাসপাতালে নবজাতক রেখে উধাও বাবা-মা লেসবিয়ান সেক্সের অভিযোগে দুই নারীকে বেত্রাঘাত ইন্টারনেট সংযোগ কখনো বন্ধ হচ্ছে না প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৫৪% যাত্রী ট্রেনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে অফিস বা কাজ সম্পর্কিত ইমেইল করছে। বাকীরা তাদের নিজেদের মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে একই কাজ করছে। বাকীরা তাদের নিজেদের মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করে একই কাজ করছে। দেখা গেছে যেসব যাত্রী অফিসের পথে যাচ্ছে তারা আগামী দিনের জন্য মেইল করছে বা পরিকল্পনা করছে এমন মেইল করছে। আর ফিরতি যাত্রীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তারা অফিসের নিয়মিত সময়ের মধ্যে যে কাজ শেষ করতে পারেননি সেসব কাজ ফেরার সময় ট্রেনের মধ্যে করছেন। লন্ডন থেকে বার্মিংহাম যাচ্ছেন এমন একজন যাত্রী বলেছেন "এটা আমার জন্য একটা মৃত সময়। তাই আমি এটাকে কাজ শেষ করার একটা ভালো সময় হিসেবে বেছে নিয়েছি যাতে করে রাতে কাজ করতে না হয়"। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা যত বাড়ছে তত প্রভাব চোখে পরছে। এর একটা ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কর্মঘন্টা আরো বেড়ে যাচ্ছে। কর্মজীবনের সামঞ্জস্য প্রশ্ন উঠেছে এটা স্বাস্থ্যের জন্যইবা কতটা ক্ষতিকর? কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এটা কি কর্মজীবনের সামঞ্জস্য করতে পারছে? একটি সাথে প্রশ্ন উঠেছে এটা স্বাস্থ্যের জন্যইবা কতটা ক্ষতিকর? যদি যাত্রা পথও কাজের অংশ হয় তাহলে কি সেটা কর্মঘন্টা হিসেবে ধরা হবে কীনা? এবং নানা প্রশ্ন। গবেষক ড. জুলিয়েট জেইন বলেছেন স্মার্ট-ফোন এবং মোবাইল কাজ এবং কাজের বাইরের জীবনের 'সীমানাকে অস্পষ্ট করছে'। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন "আমরা কীভাবে এই সময়ের হিসেব রাখবো? এবং এখন এটা জার্নি থেকে কাজে পরিণত হয়েছে?" সেন্টার ফর ট্রান্সপোর্ট এবং সোসাইটির ড. জেইন বলেছেন " কোন কন্সটিটিউটটা কাজ করবে সেটার সিদ্ধান্ত নেয়াটা এখন আসল চ্যালেঞ্জ"। কিন্তু ড. জেইন বলেছেন, এটার অর্থ এই দাড়ায় নিয়োগকর্তারা চাইবেন কীভাবে যানবাহন ব্যবহারকারীরারা তাদের সময়কে ব্যবহার করছেন সে ব্যাপারে "আরো নজরদারী এবং জবাবদিহিতা" | Commuters are so regularly using travel time for work emails that their journeys should be counted as part of the working day, researchers say. |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | আন্দোলনকারীরা বলছেন গণহত্যার হারে ভারতে মেয়ে ভ্রণ হত্যা চলছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ফেলে দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ভ্রূণগুলো মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। অবৈধ উপায়ে গর্ভপাত করাতে গিয়ে এক নারীর মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই ভ্রূণগুলো খুঁজে পান বলে কর্মকর্তারা বলছেন। ভারতের আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করছে যে শত প্রচারণা সত্ত্বেও ভারতে মেয়ে ভ্রূণ হত্যা চলছেই। সাঙলি জেলার পুলিশ সুপার দাতাত্রে শিন্ডে বলছেন, "মনে হচ্ছে একটি চক্র এসব গর্ভপাত ব্যবসার সাথে জড়িত। আমরা মৃত মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করেছি এবং পলাতক ডাক্তারকে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।" তবে ফেলে দেয়া ভ্রূণ আবিষ্কারের এটাই প্রথম ঘটনা না। ২০১২ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে আটটি, এবং ২০০৯ সালে মহারাষ্ট্রে ১৫টি মেয়ে শিশুর ভ্রূণ আটক করা হয়। ছেলে সন্তানের কামনায় ভারতে দম্পতিদের মধ্যে মেয়ে ভ্রূণ হত্যা করার প্রবণতা রয়েছে। সরকার একে নিষিদ্ধ করেছে।। | Police in the western Indian state of Maharashtra have found 19 aborted female foetuses near a hospital. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম প্রাইমটাইম ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তবে তিনি এমন দিনে ভাষণ দিলেন এক বছর আগে এই দিনেই কোভিড-১৯-কে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। মিস্টার বাইডেন সব রাজ্যকেই আগামী পহেলা মে'র মধ্যে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম সব নাগরিককে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। "আমরা যদি ৪ঠা জুলাইয়ের মধ্যে এটা একসাথে করতে পারি, তাহলে আপনার নিজের, পরিবারের ও বন্ধুদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মিলিত হওয়ার ভালো সুযোগ আছে," মিস্টার বাইডেন বলছিলেন। তিনি বলেন, তার দেশ শুধু স্বাধীনতা দিবস উদযাপনেই নয় বরং 'করোনা ভাইরাস থেকেই স্বাধীনতা অর্জনের' জন্য সক্ষম হবে। বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন: একশো দিনের মধ্যে একশো মিলিয়ন টিকার প্রতিশ্রুতি দিলেন বাইডেন মিয়ানমারের ভেতর কী হচ্ছে তার প্রথম বিবরণ বিবিসির কাছে অং সান সু চি ছয় লাখ ডলার ও সোনা নিয়েছেন, অভিযোগ সেনাবাহিনীর টিকা নেবার পর কোভিড সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে কত দিন লাগে? ক্ষমতায় যাওয়ার ১০০ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন আমেরিকানকে টিকা দেয়ার কথা বলেছিলেন মি. বাইডেন দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম সম্প্রসারণে তিনি যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তাতে টিকাদান কেন্দ্র ও টিকা দেয়ার জন্য জনবলও বাড়ানো হবে। এছাড়া কিছু ভ্রাম্যমাণ টিম গিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে টিকা প্রদান করবেন। এর আগে মিস্টার বাইডেন তার শপথ গ্রহণের একশ দিনের মধ্যে দশ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার কথা বলেছিলেন। তবে এবার তার ভাষণে তিনি বলেছেন, সেই টার্গেট ৬০ দিনেই অর্জিত হয়েছে। তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানা বিশেষ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখ, হাত ধোয়া ও মাস্ক পরতে জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। "ভাইরাসকে পরাজিত করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা জাতীয় ঐক্যের ওপর নির্ভর করছে," তিনি বলেন। এ মাস থেকেই জনপ্রতি ১,৪০০ ডলার দেওয়া শুরু হবে এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে অনুমোদন পাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করেন। ওই বিল অনুযায়ী, জনপ্রতি ১ হাজার ৪০০ ডলার নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। এই প্রণোদনা চলতি মাস থেকেই শুরু হবে। মিস্টার বাইডেন বলেছেন ত্রাণ প্যাকেজ তার 'দেশের মেরুদণ্ড' পুনর্গঠন করবে একই সাথে রাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য সাড়ে তিনশ বিলিয়ন ডলার, স্কুল খোলার জন্য ১৩০ বিলিয়ন ডলার, করোনা টেস্ট সুবিধা ও গবেষণার জন্য ৪৯ বিলিয়ন ডলার এবং টিকা বিতরণের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। মিস্টার বাইডেন বলেন, এই ত্রাণ প্যাকেজ তার 'দেশের মেরুদণ্ড' পুনর্গঠন করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এই প্রণোদনা প্যাকেজ রিপাবলিকানদের সহায়তা ছাড়াই পাস হয়েছে কংগ্রেসে। রিপাবলিকানরা এই বিলের সমালোচনা করে শুধু যারা আয় হারিয়েছে- তাদের সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছিল। করোনা মহামারিতে আমেরিকায় ৫ লাখ ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছে, আর আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ মানুষ। | President Joe Biden has said he is hopeful that America can "mark independence" from Covid-19 on 4 July if people get vaccinated. |
নিচের বাংলা লেখাটির একটি ইংরেজি সারসংক্ষেপ লিখুন | সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে নারীবাদীদের বিক্ষোভ ব্রা পোড়ানো নারীবাদীর যে কাল্পনিক ইমেজ বা ছবি এরপর জনমানসে তৈরি হলো, সেরকম ঘটনা কি বাস্তবেই ঘটেছিল? একদল নারী সেদিন প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অনেক কিছুই ছুঁড়ে ফেলেছিলেন- ঘর মোছার মপ, লিপস্টিক, হাই হীল জুতা। তাদের কাছে এসব ছিল নারীর পরাধীনতার প্রতীক। একটি 'ফ্রিডম ট্র্যাশ ক্যান' বা 'স্বাধীন ময়লার ঝুড়ি'তে তারা এসব ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারছিলেন। সেই প্রতিবাদের সংগঠকদের একজন ছিলেন রবিন মর্গান। তারা পথচারীদেরও তাদের আন্দোলনে সামিল হওয়ার ডাক দিচ্ছিলেন। "আমার মনে আছে এক তরুণী তার ব্রা খুলে ফেললো। শার্টের নীচ থেকে সে তার ব্রা খুলে বের করে আনলো তারপর সবার উল্লসিত চিৎকারের মধ্যে সেটি ছুঁড়ে ফেললো।" সারা বিশ্বে সংবাদ শিরোণাম হলো সেই ঘটনা। নারীবাদীদের সেই প্রতিবাদ হয়ে গেল ইতিহাসের অংশ। ফ্রিডম ট্র্যাশ ক্যান: এতে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল অনেক কিছু এই বিক্ষোভে যারা যোগ দিয়েছিলেন, তারা এর আগেও নানা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ করে আমেরিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন কিংবা ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন। কিন্তু নারীর অধিকারের জন্য রাস্তায় নামা অনেকের জন্য ছিল সেই প্রথম। "তখন আমরা তরুণ বিপ্লবী। মাত্র নারীবাদকে আবিস্কার করছি", বলছেন রবিন মর্গান। তারা বুঝতে পারছিলেন এটা এমন এক যুদ্ধ, যেটা তাদের নিজেদেরই করতে হবে। "আমরা জানতাম যে ডানপন্থী পুরুষরা আমাদের মিত্র নয়। আর বামপন্থী পুরুষদের আমরা নিজেদের ভাই বলে গণ্য করলেও পরে যখন নিজেদের অধিকারের কথা বলতে শুরু করলাম তখন দেখলাম আসলে তা নয়। " ৫০ বছর পরেও যে সেদিনের সেই আন্দোলন এতটা ঢেউ তুলবে, সেটা তারা ভাবতে পারেননি। সত্যিকারের নারীবাদী আন্দোলনের ঢেউ সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল বলে কোন কোন ইতিহাসবিদ বলে থাকেন। "এটা শুনতে বেশ ভালো লাগলেও আসলে তা নয়। তারও আগে ন্যাশনাল অর্গেইজেশন ফর উইমেনের মতো নারীবাদী সংস্থা তার আগে থেকেই ছিল", বলছেন রবিন মর্গান। কিন্তু সেদিনের প্রতিবাদের যে ছবিটা জনমানসে গেঁথে গিয়েছিল, তা হচ্ছে নারীবাদীরা তাদের ব্রা পুড়িয়ে ফেলছে! যেটি আসলে বাস্তবে ঘটেইনি। রবিন মর্গান রবিন মর্গান বলছেন, কিছু মহিলা তাদের অন্তর্বাস খুলে 'ফ্রিডম ট্র্যাশ ক্যানে' ছুঁড়ে ফেলেছিলেন সেটা সত্যি। কিন্তু তারা সেগুলো পোড়াননি। আসলে একজন মহিলা সাংবাদিকের এক রিপোর্টের লাইন থেকে এই কল্পকাহিনীর শুরু । "পুরুষরা তাদের ড্রাফট কার্ড পোড়াচ্ছে, এরপর কী? মেয়েরা কি তাদের ব্রা পোড়াবে", এই ছিল রিপোর্টের লাইন। স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেছেন, তারা মনে করতে পারেন যে ট্র্যাশ ক্যানটিতে আগুন দেয়া হয়েছিল, কিন্তু সাথে সাথেই সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। রবিন মর্গান অবশ্য দৃঢ়তার সঙ্গেই বলছেন, ব্রা পোড়ানোর কোন ঘটনাই ঘটেনি। "এটা একটা কল্পকাহিনী। আমরা বহু বছর ধরে এটিকে খন্ডনের চেষ্টা করছি। নির্যাতনের চিহ্ণ কি মেক-আপে ঢাকা যায়? মিছিলে বহন করা প্ল্যাকার্ডে ছুঁড়ে দেয়া হয় এই প্রশ্ন। ১৯৬৮ সালে 'মিস আমেরিকা' সুন্দরী প্রতিযোগিতায় কেবল বিশেষ ধরণের নারীর সৌন্দর্যকেই বিবেচনায় নেয়া হতো। 'প্রতিযোগীদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে, তাদের শ্বেতাঙ্গ হতে হবে' এই নিয়ম অবশ্য ততদিনে পাল্টেছে। কিন্তু মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতায় তখনো পর্যন্ত কোন অশ্বেতাঙ্গ নারী জিততে পারেননি। "১৯২১ সালে এই প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পর একজন কৃষ্ণাঙ্গও কোনদিন এর ফাইন্যালে পৌঁছায়নি", ট্র্যাশ ক্যান বিক্ষোভের একটি প্রেস রিলিজে এভাবেই এই আন্দোলনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল। "কখনো কোন পুয়ের্তোরিকান, আলাস্কান, হাওয়াইয়ান বা মেক্সিকান আমেরিকান এতে জেতেনি। এমনকি একজন সত্যিকারের মিস আমেরিকান, অর্থাৎ ইন্ডিয়ান আমেরিকানও নয়।" আরও পড়ুন: ইতিহাসের সাক্ষী: লেসবিয়ান নারীদের যৌথ সংসার নারীবাদ মানে পুরুষ বিদ্বেষ নয়, পুরুষের সমান হওয়া সৌদি নারীরা এখনও যে ৫টি কাজ করতে পারে না সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা যে দশটি আপত্তি তুলে ধরেছিলেন, বর্ণবাদ ছিল তার একটি। ৫০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে নারী অধিকার আন্দোলন এখন আবারও খবরের শিরোণামে। নারীদের মিছিল এবং 'মি-টু' আন্দোলন আবারও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে নারীবাদী আন্দোলনে। ৫০টি রাজ্যের নির্বাচনে এবার রেকর্ড সংখ্যাক নারী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতাকে বর্ণবাদী বলে বর্ণনা করেন বিক্ষোভকারীরা। রবিন মর্গান অভিভূত এই জাগরণ দেখে। "এদের মধ্যে গৃহিনী আছেন, শিক্ষক আছেন, ক্যাশিয়ার আছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অনেক হয়েছে, এবার ঘুরে দাঁড়ানোর সময়।" আজকে যদি আবার 'ফ্রিডম ট্র্যাশ ক্যান' আন্দোলন হয়, তাতে কি ছুঁড়ে ফেলবেন তারা? "সব প্রধান ধর্মের সব প্রতীক। কারণ তারা এত বেশি পুরুষতান্ত্রিক।" এছাড়া হাই হীল জুতা, আন্ডারওয়্যার এবং সহিংসতায় ভরা পর্ণোগ্রাফিরও আছে তার তালিকায়। তিনি ছুঁড়ে ফেলতে চান ওপিয়ডের মতো ড্রাগ এবং ডায়েট পিলও। তার কাছে এসব কিছু নারীকে পুরুষের অধীন রাখার আয়োজন ছাড়া আর কিছু নয়। "আমি ভেতরে ভেতরে আসলে একজন কবি। প্রতীক এবং উপমা- এসব আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব যে কত শক্তিশালী তা আমি জানি। 'ফ্রিডম ট্র্যাশ ক্যান' কত শক্তিশালী তা আমি বুঝি।" | Fifty years ago, a protest against a Miss America beauty pageant in New Jersey sparked off the iconic - and mythical - image of the "bra-burning feminist". |
দয়া করে এই বাংলা নিবন্ধটির সংক্ষিপ্তসার ইংরেজি প্রদান করুন | হামজা বিন লাদেনের খবর দেয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তবে বেনামী সূত্র থেকে উল্লেখ করা ওই খবরে, হামজা বিন লাদেনের মারা যাওয়ার জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা কিংবা তার মৃত্যুর তারিখ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে তার সম্পর্কে খোঁজ দেয়ার জন্য ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকার। হামজা বিন লাদেন, যার আনুমানিক বয়স ৩০ বছর, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের উপর হামলার আহ্বান জানিয়েছে অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছিলেন। তার মৃত্যুর খবর প্রথমে আসে এনবিসি এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসে। গত বুধবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অসম্মতি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনও এবিষয়ে কোন কথা বলেননি। আরো পড়তে পারেন: কে এই মুসলিমবিরোধী 'বৌদ্ধ বিন লাদেন'? বিন লাদেন: মৃত্যুর আট বছর পর আল-কায়েদা এখন কোথায়? বিন লাদেনের ছেলে হচ্ছেন আল কায়েদার নতুন নেতা? ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে নিজের বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে জিহাদিদের আহ্বান জানিয়েছিলেন হামজা বিন লাদেন। আরব উপত্যকার বাসিন্দাদের বিদ্রোহ ঘোষণা করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মার্চে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে সৌদি আরব। ধারণা করা হয় যে, ইরানে গৃহবন্দী ছিলেন তিনি। কিন্তু অন্যান্য অনেক সূত্র মতে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সিরিয়াতেও তার বসবাসের খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের দাবি, ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে তার বাবার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে নথি জব্দ করা হয়েছে সে অনুসারে আল কায়েদার নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল তার। এছাড়া আরেক জ্যেষ্ঠ আল কায়েদা নেতার মেয়ের সাথে তার বিয়ের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। বিয়েটি ইরানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তার শ্বশুর ছিল আব্দুল্লাহ আহমেদ আব্দুল্লাহ বা আবু মুহাম্মদ আল মাসরি। ১৯৯৮ সালে তানজানিয়া এবং কেনিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর হামলার পেছনে জড়িত ছিল আল কায়েদা সংগঠন। তবে গত দশকে আইএস মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে আল কায়েদার নামডাক কমে যায়। আমেরিকার প্রতি ঘৃণা নিয়ে বেড়ে ওঠা এক ছেলে বিবিসি নিউজের ক্রিস বাকলার এক বিশ্লেষণে বলেন, হামজা বিন লাদেনের বয়স কত তা বলতে না পারাই প্রমাণ করে যে মার্কিন কর্মকর্তারা তার সম্পর্কে কত কম জানে। গত কয়েক মাস ধরে তারা এই ধারণা উপর ছিলো যে, সে হয়তো আফগানিস্তান, পাকিস্তান কিংবা ইরানে রয়েছে। কিন্তু তারা কখনোই নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে ঠিক কোন দেশে আমেরিকার 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তিটি লুকিয়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে লাখো ডলারে পুরষ্কার ঘোষণা শুধু তার দ্বারা ভয়াবহ হুমকির মাত্রাকেই বোঝায় না, বরং আল কায়েদায় তার প্রতীকী গুরুত্বও তুলে ধরে। তার বাবা যখন ৯/১১ এর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন তখন হামজা শিশু ছিল। তবে চরমপন্থী সংগঠনগুলোর তথ্য মতে, সেসময় বাবার পাশেই ছিল সে। ২০০১ সালে কাবুলের কাছে ওসামা বিন লাদেন যে ছেলেটি আমেরিকাকে ঘৃণা করতে শেখার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে, তার কাছে বিশেষ বাহিনীর হাতে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়ার প্রবল ইচ্ছা থাকাটাই স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর উপর হামলার আহ্বান জানিয়ে অনলাইন বার্তা দিয়ে আসছিলেন তিনি। হামজা বিন লাদেনের মৃত্যুর খবর সঠিক হলে, এটি আল কায়েদার নতুন কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেবে। তবে এটি বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনাকারী সংগঠনটির হুমকি শেষ করতে পারবে না। আল-কায়েদা: মৌলিক বিষয় • ১৯৮০র দশকে আফগানিস্তানে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি যখন আরবের স্বেচ্ছাসেবীরা সোভিয়েত সেনাদের হটাতে মার্কিন সমর্থিত আফগান মুজাহিদিন বাহিনীতে যোগ দিয়েছিল। • ওসামা বিন লাদেন এই স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্যে একটি সংগঠন তৈরি করে আল কায়েদা নামে যার অর্থ "ভিত্তি"। • ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান ছাড়েন তিনি। ১৯৯৬ সালে আবার ফিরে আসেন হাজারো বিদেশি মুসলিম সদস্যদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির চালাতে। • আমেরিকা, ইহুদী এবং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে "পবিত্র যুদ্ধ" ঘোষণা করেছিল আল কায়েদা। | Hamza Bin Laden, the son of al-Qaeda founder Osama Bin Laden, died in an air strike, US media outlets report, citing intelligence officials. |
প্রদত্ত বাংলা অনুচ্ছেদের ইংরেজি সারসংক্ষেপ কি? | নাফতালি বেনেট এবং বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। উগ্র-জাতীয়তাবাদী নেতা নাফতালি বেনেট মধ্যপন্থী ইয়াইর লাপিদের সাথে আলোচনায় বসবেন এমন ঘোষণার পর মি. নেতানিয়াহু ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যাতে কোন ধরণের চুক্তিতে সমর্থন না দেয়। নতুন জোট সরকার গঠনের জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় হাতে পাবেন মি. লাপিদ। তিনি সরকার গঠন করতে সক্ষম হলে তা হবে দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকা মি. নেতানিয়াহুর ক্ষমতার অবসান। মি. নেতানিয়াহু দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন। গত মার্চে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হন। এটা ছিল গত দুই বছরে দেশটিতে চতুর্থবারের নির্বাচন যেখানে জোট গঠনে মিত্র পেতে ব্যর্থ হন তিনি। রবিবার তিনি বলেন, "বামপন্থী কোন সরকার গঠন করবেন না- এ ধরণের সরকার ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক হবে।" ৭১ বছর বয়সী মি. নেতানিয়াহু ১২ বছর ধরে দেশটির শাসন ক্ষমতায় রয়েছেন এবং একটি প্রজন্ম ধরে তিনি ইসরায়েলি রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। মি. নেতানিয়াহু মি. বেনেটের বিরুদ্ধে "জনগণকে ভুল পথে চালিত করা" এবং "শতাব্দীর সবচেয়ে বড় জালিয়াতি" করার অভিযোগ এনেছেন। আরো পড়ুন: এর আগে এক টেলিভিশন ভাষণে ৪৯ বছর বয়সী মি. বেনেট ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন যে, জোট গঠন করতে তার দল আলোচনায় অংশ নেবে। "মি. নেতানিয়াহু কোন ডানপন্থী দল গঠন করার চেষ্টা করছেন না কারণ তিনি ভালভাবেই জানেন যে তা সম্ভব নয়। তিনি পুরো জাতি, পুরো দেশ তার নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান পোক্ত করার জন্য পেতে চাইছেন," বলেন মি. বেনেট। "আমার বন্ধু ইয়াইর লাপিদের সাথে একটি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সরকার গঠনের জন্য সবকিছু করবো।" এই ঘোষণার আগে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল যে, জোটের শর্ত অনুযায়ী, মি. বেনেট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মি. নেতানিয়াহুর জায়গা নেবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর ৫৭ বছর বয়সী মি. লাপিদকে সে জায়গা ছেড়ে দেবেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোন চুক্তি করা হয়নি। প্রস্তাবিত জোট সরকারে ইসরায়েলি রাজনীতির ডান, বাম এবং মধ্যপন্থী- সবারই সন্নিবেশ ঘটবে। এই দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতৈক্য না থাকলেও তারা মি. নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে একমত। ইয়াইর লাপিদ এবং নাফতালি বেনেট। মি. নেতানিয়াহু জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ার পর মি. লাপিদ যিনি সাবেক একজন অর্থমন্ত্রী, তাকে ২রা জুন পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনের সময় দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচনে তার ইয়েশ আতিদ পার্টি দ্বিতীয় অবস্থানে আসে। প্রথম অবস্থানে ছিল মি. নেতানিয়াহুর ডানপন্থী দল লিকুদ পার্টি। ১২০ আসনের পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি আসন পেয়েছে মি. বেনেটের দল যা প্রস্তাবিত বিরোধী জোট গঠনে নিশ্চিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিতে সক্ষম। শনিবার রাতে, মি. নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি মি. বেনেট এবং আরো একটি সম্ভাব্য জোট দলের নেতাকে জোট গঠনের প্রস্তাব দেয়। যাতে করে পালাক্রমে তিনজনই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। তবে তার সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি নেতারা। রবিবারও একই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। ইসরায়েলের নির্বাচন পদ্ধতি অনুযায়ী, সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার শর্ত থাকায় কোন একটি দলের পক্ষে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন লাভ করা সম্ভব নয়। জোট সরকার গঠনের জন্য ছোট ছোট দলগুলোকেও দরকার হয়। মি. লাপিদকে প্রাথমিকভাবে সরকার গঠনের জন্য ২৮ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক ১১ দিন ধরে গাজা সহিংসতার কারণে এই সময় কমে এসেছে। সহিংসতার কারণে দলটির সম্ভাব্য জোট সহযোগী আরব ইসলামিস্ট রাম পার্টি নিজেদের পিছিয়ে নিয়েছে। ইসরায়েলের শহরগুলোতেও মিশ্র আরব এবং ইহুদী বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষেরও খবর মিলেছে। | Israel's PM Benjamin Netanyahu has warned that a proposed unity government aimed at replacing him would be a danger to the country's security. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | ইয়ালু নদীর তীরে উত্তর কোরিয়ার একজন নারী সৈনিক বাহিনীর এক সাবেক নারী সেনা আরও জানাচ্ছেন তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই ধর্ষণ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক এক ঘটনা! প্রায় দশ বছর ধরে লি সো ইয়নকে শুতে হয়েছিল একটা বাঙ্ক বেডের নিচের তলায়। ঘরটা তাকে শেয়ার করতে হত আরও জনা পঁচিশেক মহিলার সঙ্গে। তাদের প্রত্যেককে নিজস্ব ফৌজি উর্দি রাখার জন্য ছোট একটা ড্রয়ার দেওয়া হত। ড্রয়ারের ওপরে রাখতে হত ফ্রেমে বাঁধানো দুটো করে ফোটোগ্রাফ। তার একটা ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সুংয়ের। দ্বিতীয়টা ছিল তার উত্তরসূরী, এখন প্রয়াত কিম জং-ইলের। এক দশকেরও বেশি হল তিনি উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী ছেড়ে চলে এসেছেন, কিন্তু সেই কংক্রিট ব্যারাকের প্রতিটা গন্ধ, প্রতিটা স্মৃতি তার এখনও টাটকা। "আমরা খুব ঘামতাম। যে গদির ওপর আমরা শুতাম, সেটা ছিল ধানের তূষের তৈরি। ফলে আমাদের গায়ের সব গন্ধ সেই গদিতে আটকে থাকত। তুলোর গদি নয় তো, তাই ঘামের গন্ধ ও অন্য সব গন্ধ চিপকে থাকত সেখানে - একবারেই ভাল লাগত না।" এই অবস্থার একটা বড় কারণ ছিল সেখানে স্নান করা বা কাপড়চোপড় পরিষ্কার করার ব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে। "একজন নারী হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আমরা ঠিকঠাক স্নানই করতে পারতাম না", বলছিলেন লি সো ইয়ন। "গরম জল তো পেতাম না। পাহাড়ের একটা ধর্নার সঙ্গেই হোসপাইপ জুড়ে দেওয়া হত, সেই হোস দিয়েই আমাদের স্নানের জল আসত। তবে তার সঙ্গেই সেই হোস দিয়ে বেরোত সাপ, ব্যাং ইত্যাদি অনেক কিছু!" স্কার্ট পরিহিত নারী সেনাদের কুচকাওয়াজ উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত আরও খবর: 'নিষিদ্ধ দেশ' উত্তর কোরিয়ায় কেমন আছে মানুষ? উত্তর কোরিয়ার সৈন্যের অন্ত্রে 'বিশালাকৃতি কৃমি' খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলা করতে উত্তর কোরিয়ার মানুষ উদ্ভাবন করছে নতুন খাবার উ. কোরিয়ায় কি ধরণের আক্রমণ চালাতে পারে আমেরিকা? এখন ৪১ বছর বয়সী লি সো ইয়নের বাবা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি বড় হয়ে উঠেছেন দেশের উত্তরপ্রান্তে। তার পরিবারের অনেক পুরুষ সদস্যই ছিলেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৯০র দশকে যখন উত্তর কোরিয়া ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে, তখন সো ইয়ন নিজে থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে এগিয়ে আসেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান যে ভাবনাটা কাজ করেছিল তা হল বাহিনীতে দুবেলা অন্তত খাবারের চিন্তা থাকবে না। দেশের আরও অনেক মেয়ে একই কারণে সে সময় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম দিকে অবশ্য দেশপ্রেমের একটা চেতনাও কাজ করেছিল, এবং ১৭ বছরের লি সো ইয়ন বাহিনীতে তার জীবন মোটামুটি উপভোগও করছিলেন। তার জন্য যেভাবে আলাদা করে একটি হেয়ার ড্রায়ার দেওয়া হয়েছিল, বিশেষ করে সেটা তো তার দারুণ লেগেছিল। কিন্তু যেহেতু প্রায়ই ব্যারাকে বিদ্যুৎ থাকত না, তাই চুল শোকানোর সেই যন্ত্র কাজে লাগত না বললেই চলে। পুরুষ ও নারী সৈনিকদের দৈনন্দিন রুটিন অবশ্য ছিল প্রায় একই ধরনের। তবে নারীদের শারীরিক প্রশিক্ষণের সময়টা ছিল পুরুষদের তুলনায় অল্প কিছুটা কম। কিন্তু তাদের কাপড়চোপড় কাচা, পরিষ্কার করা বা রান্নাবান্নার মতো বেশ কিছু গৃহস্থালির কাজ করতে হত, যা থেকে আবার পুরুষ সৈনিকদের রেহাই ছিল। কিন্তু কঠোর শারীরিক অনুশীলন ও পরিশ্রম, খাবারের রেশনে টান ইত্যাদি নানা কারণে লি সো ইয়ন ও তার সতীর্থ সেনাদের শরীরে প্রভাব পড়তে শুরু করে অল্প দিনের ভেতরেই। "বাহিনীতে ঢোকার ছমাস থেকে এক বছরের মধ্যে আমাদের আর ঋতুস্রাব হত না। চরম অপুষ্টি আর ভীষণ একটা মানসিক চাপের পরিবেশে থাকতাম বলেই সেরকমটা হয়েছিল।" "নারী সৈনিকরা অবশ্য বলত তাদের মাসিক হচ্ছে না বলে তারা খুশি। খুশি, কারণ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে তার ওপর আবার মাসিক হলে তাদের আরও শোচনীয় অবস্থার ভেতর পড়তে হত।" বাহিনীতে বন্দুকধারী নারী সৈনিকরা লি সো ইয়ন আরও জানাচ্ছেন, মাসিক ঋতুস্রাবের দিনগুলো নারী সেনারা কীভাবে পার করবে, তার কোনও ব্যবস্থাই বাহিনীতে ছিল না। এমনও হয়েছে, লি সো ইয়ন ও তার নারী সহকর্মীদের বাধ্য হয়ে অনেক সময় একজনের ব্যবহার করা স্যানিটারি প্যাড আবার অন্য একজনকে ব্যবহার করতে হয়েছে। আরও পড়তে পারেন: দিল্লিতে ১৫ দিন পর ডেঙ্গিতে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতাল বিল চাইলো ১৭ লাখ রুপি ওসামা বিন লাদেন তার শেষ সাক্ষাৎকারে কী বলেছিলেন পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীরকে যতদূর চোখ যায়, শুধু রোহিঙ্গা আর রোহিঙ্গা লি সো ইয়ন যদিও স্বেচ্ছাতেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন, ২০১৫ সালে উত্তর কোরিয়া নিয়ম করেছে যে ১৮ বছর বয়সের পর সে দেশে সব মেয়েকেই বাধ্যতামূলকভাবে সাত বছর সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার সে সময় এক অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নিয়ে ঘোষণা করেছিল যে বাহিনীর বেশির ভাগ নারী ইউনিটেই 'ডেডং' নামে একটি দামী প্রিমিয়ার ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হবে। ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সে দেশের প্রসাধনী সামগ্রী নির্মাতাদের এমন প্রোডাক্ট তৈরির আহ্বান জানিয়েছিলেন যাতে তারা ল্যানকমে, শ্যানেল বা ক্রিস্টিয়ান ডিওরের মতো গ্লোবাল ব্র্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। এরপর 'পিয়ংইয়ং প্রোডাক্টস' নামে একটি কসমেটিক কোম্পানি সম্প্রতি বিভিন্ন নারী সেনাদের ইউনিটে তাদের কিছু পণ্য বিলি করেছে। তবে তারপরও দেশের গ্রামীণ এলাকায় মোতায়েন বহু নারী সেনার এখনও আলাদা শৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ পর্যন্ত নেই। গবেষকদের তারা কেউ কেউ জানিয়েছেন, অনেক সময় পুরুষ সহকর্মীদের সামনেই তাদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়। এর ফলে তাদের ওপর যৌন হামলার ঝুঁকিও বাড়ে, কিন্তু তাদের কিছু করার থাকে না। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে যৌন নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটে ব্যাপক হারে। উত্তর কোরিয়ার বাহিনীতে এক নারী সৈনিক লি সো ইয়ন বলছেন, ১৯৯২ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তিনি যখন সেনাবাহিনীতে ছিলেন তখন তাকে ধর্ষিতা হতে হয়নি ঠিকই, কিন্তু তার অনেক নারী কমরেডকেই সেই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কাজের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোম্পানি কমান্ডার নিজের ঘরে বসে থাকতেন ও নিজের অধীনস্থ নারী সেনাদের মধ্যে কাউকে ডেকে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করতেন। এই জিনিস অবিরামভাবে চলত দিনের পর দিন। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী অবশ্য দাবি করে থাকে তারা যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কোনও পুরুষ সেনা ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তার সাত বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। "কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ধর্ষিতা নারী সেনারা কেউ ভয়ে সাক্ষ্য দিতেই এগিয়ে আসে না। ফলে ধর্ষণকারী পুরুষদেরও কোনও সাজা হয় না কখনওই", বলছিলেন জুলিয়েট মরিলট নামে এক গবেষক। লি সো ইয়ন সেনাবাহনীর একটি সিগনালস ইউনিটে সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন, যেটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তের খুব কাছেই। শেষ পর্যন্ত তিনি বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন ২৮ বছর বয়সে। পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে তার ভালই লেগেছিল - কিন্তু সেনাবাহিনীর বাইরের জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও তার কষ্ট হয়েছিল, সেই সঙ্গে ছিল আর্থিক টানাটানি। ২০০৮ সালে তিনি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়াতে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু প্রথম প্রচেষ্টার সময় চীনের সীমান্তের কাছে তিনি ধরা পড়ে যান এবং তাকে এক বছরের জন্য একটি বন্দী শিবিরে পাঠানো হয়। সেই জেল থেকে বেরোনোর কয়েকদিন পরেই তিনি দ্বিতীয়বার দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এবারের চেষ্টায় তিনি তুমেন নদী সাঁতরে পাড় হয়ে চীনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে সীমান্তে তার দেখা হয় এক দালালের সঙ্গে। সেই দালালই তাকে চীনের ভেতর দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেয়। জুলিয়েট মরিয়ট ও অন্য গবেষকরা বলছেন, অন্যান্য সূত্রে তারা উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ভেতরকার অবস্থার যে বর্ণনা শুনতে পেয়েছেন তার সঙ্গে লি সো ইয়নের এই বিবরণ মিলে যাচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে যারা পালিয়ে আসেন, তাদের বর্ণনা অনেক সময়ই অতিরঞ্জিত হয় এটাও তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। লি সো ইয়ন অবশ্য এই সাক্ষাৎকারের জন্য বিবিসির কাছ থেকে কোনও টাকা পয়সা নেননি। আমাদের পেজে আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় দন্ডিত বসনিয়ান সাবেক সার্ব কমান্ডার রাতকো ম্লাদিচ গ্রেস মুগাবে: স্টেট হাউজের টাইপিস্ট থেকে ফার্স্টলেডি সাভার আর মানিকগঞ্জে মাটির নিচে পানির 'খনি' | A former soldier says life as a woman in the world's fourth-largest army was so tough that most soon stopped menstruating. And rape, she says, was a fact of life for many of those she served with. |
এই বাংলা প্রবন্ধটি ইংরেজি ভাষায় সংক্ষেপে অনুবাদ করুন | প্রতিবেশীকে খুন তরার অপরাধে বার্নি ফুলারের প্রাণদণ্ড হয়। বার্নি ফুলার নামে এই ব্যক্তি ২০০৩ সালে তার প্রতিবেশী এক পরিবারের স্বামী স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেন এবং পরে আদালতে দোষ স্বীকার করেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিনি তার পক্ষের কৌঁসুলিকে আপিল করতে বারণ করেন। তিনি বলেন, তাকে যদি প্রাণদণ্ড দেয়া হয়েই থাকে, তাহলে সেটা কার্যকর করতে কেন দেরি করা হবে? আদালতকে তিনি বলেন ''আমি চলে যেতে চাই।'' আদালত অবশ্য পরে রায় দেয় যে নিজের মৃত্যুর পক্ষে মতামত দিলেও তিনি মানসিকভাবে সুস্থই আছেন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের শহর হিউস্টন থেকে প্রায় ১০০মাইল উত্তরে লাভলেডি নামে এক গ্রামের বাসিন্দা বার্নি ফুলার ও তার প্রতিবেশী নেথান কোপল্যান্ডের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ ছিল। তের বছর আগে একদিন সেই বিবাদ রক্তক্ষয়ী বন্দুক যুদ্ধে রূপ নেয়। মি. ফুলার তার প্রতিবেশীর বাড়ির ওপর ৬০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন এবং লাথি দিয়ে দরোজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মি. কোপল্যান্ড ও তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। চলতি বছর টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে দণ্ড কার্যকর করার এটাই সপ্তম ঘটনা। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় এই রাজ্যে। | An inmate in the US state of Tennessee has been executed by electric chair after arguing that a lethal injection would involve suffering. |
এই বাংলা লেখাটির ইংরেজি সারাংশ প্রদান কর। | ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা দীর্ঘদিনের ভারত বলছে, লাদাখ অঞ্চলে যে স্থিতাবস্থা রয়েছে তা বদলে দেয়ার উদ্দেশ্যে চীন 'উসকানিমূলক সামরিক তৎপরতা' চালিয়েছে। গত জুন মাসে দু'দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতে ভারতের অন্তত ২০ জন সৈন্য নিহত হয়। চীনের তরফে অবশ্য হতাহতের কোন সংখ্যা দেশটি প্রকাশ করেনি। এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ সীমান্ত অতিক্রম করা এবং লড়াই করার জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তবে সীমান্তের 'স্ট্যাটাস কো' বা স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করার অভিযোগ চীন অস্বীকার করছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, "চীনা সীমান্তরক্ষীরা বরাবরই 'অ্যাকচুয়াল লাইন অব কন্ট্রোল' বা প্রকৃত সীমান্ত রেখা মেনে চলেছে। এবং তারা সেই রেখা কখনই অতিক্রম করেনি। ভারত সীমান্তে সতর্ক প্রহরা সম্পর্কিত খবর: ভারত ও চীনের সেনা প্রত্যাহার কতটা ফলপ্রসূ হবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি কেন তিনি বলেন, "সীমান্তের ভূখণ্ড নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যোগাযোগ বজায় রাখছে।" তবে দিল্লির সরকার জানাচ্ছে, ২৯শে অগাস্ট রাতে 'প্যানগং সো লেক-এর দক্ষিণ উপকুলে' চীনা বাহিনীর তৎপরতা ঠেকাতে ভারতীয় বাহিনী 'আগাম পদক্ষেপ' নেয়। ভারত একই সঙ্গে বলেছে যে শান্তি আলোচনার প্রতি তারা অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু একই সাথে তারা আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার প্রশ্নে সংকল্পবদ্ধ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের তরফ থেকে এ ধরণের প্রকাশ্য বক্তব্যের অর্থ হলো চীন-ভারত সীমান্তে যে তুলনামূলক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা আবার ভঙ্গ করা হয়েছে। সীমান্তের দুই পাশে রণ হুংকার এর আগে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভারতের সেনাবাহিনী লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-এ মোতায়েন সেনা কমান্ডারদের যে কোনো ধরণের 'পদক্ষেপ নেয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা' দিয়েছে বলে জুন মাসে খবর দেয় হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা। ঐ খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের আর অস্ত্র ব্যবহার করায় কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না এবং তারা পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সেনাবাহিনীর সূত্রকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি এই খবর প্রকাশ করেছে। তারা দাবি করছে, ভারতের সেনাবাহিনী 'রুলস অব এনগেজমেন্ট' বা সংঘাতের নিয়মে পরিবর্তন আনছে। গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সৈন্যদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিরোধী দল প্রশ্ন তুলেছে যে কেন তাদের সৈন্যদের নিরস্ত্র অবস্থায় ঐ অঞ্চলে পাঠানো হলো। এর জবাবে ভারত সরকার জানিয়েছে যে, সৈন্যদের কাছে অস্ত্র থাকলেও অস্ত্র না ব্যবহার করার শর্তে চীনের সাথে চুক্তি থাকার কারণে তারা সেগুলো ব্যবহার করেনি। | India has accused China of violating the border consensus reached between them during recent peace talks. |