text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
কাউন্সিল অব ইউরোপ (ফরাসি: Conseil de l'Europe /kɔ̃ˈsɛj.də.lˈœʁɔp/, জার্মান: Europarat /ɔɪ.ˈʁoː.pʰaˌʁaːtʰ/) ইউরোপীয় অঞ্চলের ৪৭টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যার মূল লক্ষ্য ইউরোপে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। এটি ১৯৪৯ সালে গঠিত হয় ৷ এই পরিষদের সদরদপ্তর ফরাসি-জার্মান সীমান্তের স্টার্সবর্গে অবস্থিত। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন হতে পৃথক একটি সংস্থা। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:আঞ্চলিক রাষ্ট্রসংঘ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপ কাউন্সিল
কাউন্সিল অব ইউরোপ
বাংলার পটচিত্র পট বা বস্ত্রের উপর আঁকা একপ্রকার লোকচিত্র। এটি প্রাচীন বাংলার (বাংলা ভাষাভাষী অধ্যুষিত অঞ্চল) অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। প্রাচীনকালে যখন কোন রীতিসিদ্ধ শিল্পকলার অস্তিত্ব ছিলনা তখন এই পটশিল্পই বাংলার শিল্পকলার ঐতিহ্যের বাহক ছিল। যারা পটচিত্র অঙ্কন করেন তাদেরকে সেযুগে এবং এযুগেও পটুয়া বলা হয়। পট পট শব্দের প্রকৃত অর্থ হল কাপড়। শব্দটি সংস্কৃত "পট্ট" থেকে এসেছে। বর্তমানে এই শব্দটিকে ছবি, ছবি আঁকার মোটা কাপড় বা কাগজের খন্ড ইত্যাদি অর্থেও ব্যবহার করা হয়। পটের উপর তুলির সাহায্যে রং লাগিয়ে বস্তুর রূপ ফুটিয়ে তোলাই পট চিত্রের মূলকথা। এতে কাহিনী ধারাবাহিক ভাবে চিত্রিত হতে থাকে । অন্তত আড়াই হাজার বছর ধরে পটচিত্র এ উপমহাদেশের শিল্প জনজীবনের আনন্দের উৎস, শিক্ষার উপকরণ এবং ধর্মীয় আচরণের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের পটচিত্রের মধ্যে গাজীর পট ও পশ্চিমবঙ্গের পটচিত্রের মধ্যে কালীঘাটের পট উল্লেখযোগ্য । পট মূলত দুই ধরনের রয়েছে। যথা: জড়ানো পট: এ ধরনের পট ১৫-৩০ ফুট লম্বা এবং ২-৩ ফুট চওড়া হয়। চৌকা পট: এগুলোর আকারে ছোট হয়। কাপড়ের উপর গোবর ও আঠার প্রলেপ দিয়ে প্রথমে একটি জমিন তৈরি করা হয়। সেই জমিনের উপর তুলি দিয়ে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কিত হয়। পটের প্রকারভেদে বিষয়বৈচিত্র অনুসারে সংগৃহীত পটগুলিকে বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে;যেমন-চকসুদন পট, যমপট, সাহেবপট, কালিঘাটপট, গাজিপট, সত্যপীড়েরপট, পাবুজীপট ইত্যাদি। সাধারণভাবে পটকে ছয়ভাগে বিভক্ত করা যায়। সেগুলি হল - বিষয়নিরপেক্ষ, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, ধমীয়, সামাজীক এবং পরীবেশগত। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে বিষয়নিরপেক্ষ পটগুলির মধ্যে যে কোনও ধরনের নর ও নারীর ছবি অথবা শিল্পচিত্র দেখা যায় এবং সামাজিক পট বলতে বোঝায় সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে পটচিত্র গুলি অঙ্কণ করা হ্য় সেইগুলি। যেমন পোলিও টীকাকরণ অভিযান, ম্যালেরিয়া দূরীকরণ, সাম্প্রদায়িক সম্পৃতী, বৃক্ষরোপন, এইডস সন্মন্ধীয় সচেতনতা বৃদ্ধি, মানবাধীকার ও নারীনিগ্রহ বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি সঙ্ক্রান্ত পটচিত্রগুলি। ইতিহাস বৈদ্যুতিক মাধ্যমের সূত্রপাতের ফলে বাংলার প্রাচীন প্রথাগুলির বেশিরভাগ অবলুপ্ত হয়ে পড়লেও পটচিত্রের ক্ষেত্রে এটি সত্যি নয়। পটচিত্রের সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। গ্রামীণ বাংলায় পটুয়ারাই দীর্ঘদিন যাবৎ পট তৈরী করে আসছেন। এই পটুয়ারা চিত্রশিল্পী জাতিভূক্ত। এই পটুয়ারা পেশাদার শিল্পজাতি যারা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ছবি আঁকতেন ও সংগীত পরিবেশন করে থাকেন। সংগীতের বিষয়বস্তু পৌরাণিক, সমসাময়িক বা লোকজ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। প্রজন্মান্তরে, গ্রাম থেকে গ্রামে এই পটুয়ারা তাঁদের পট নিয়ে গিয়ে কখনও মঙ্গলকাব্য বা বিষয়ানুগ অন্য কোন সংগীত পরীবেশন করেন খাদ্য বা অর্থের বিনিময়ে। thumbnail|বগলামুখী পটচিত্র পটচিত্রের বিভিন্ন রূপভেদ বাংলায় পটচিত্রের বিভিন্ন রূপকল্প দেখা যায়। যথা- পৌরানিক পট পৌরানিক বিভিন্ন গল্প ও গাথা এই পটের উপজীব্য। সেগুলি হল রাবন বধ, সিতা হরণ, রাজা হরিশ্চন্দ্র, কৃষ্ণলীলা, দুর্গালীলা, সাবিত্রী-সত্যবান, মনসা মঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, আনন্দ মঙ্গল ইত্যাদি। ঐতিহাসিক পট ঐতিহাসিক পটের উপজীব্য যা এর নাম থেকেই প্রকাশিত তা হল ঐতিহাসিক ঘটনাবলী। যেমন- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আজাদ্ হিন্দ্ বাহিনী ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, আণবিক বোমাবর্ষণ অঙ্কন পদ্ধতি জমিন তৈরির পর অঙ্কনকাজ শুরু হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশজ রঙের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য; যেমন: ইটের গুঁড়া, কাজল, লাল সিঁদুর, সাদা খড়ি, আলতা, কাঠ-কয়লা ইত্যাদি। পটটিকে কয়েকটি অংশে ভাগ করে কাজ করা হয় এবং রংয়ের প্রকারের মধ্যে লাল, নীল, হলুদ, গোলাপী, বাদামী, সাদা এবং কালো ব্যবহৃত হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক স্বীকৃতি বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গ বিষয়শ্রেণী:চিত্রশিল্প বিষয়শ্রেণী:কারুশিল্প
পটচিত্র
right|thumb|220px|মানচিত্র right|thumb|পতাকা right|thumb|অবস্থান অলান্দ দ্বীপপুঞ্জ (সুয়েডীয় Landskapet Åland লান্দ্‌স্কাপেৎ অলান্দ্‌, ফিনীয় Ahvenanmaan maakunta আহ্‌ভেনান্মান মাকুন্তা) ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের মধ্যবর্তী বথনিয়া উপসাগরে অবস্থিত প্রায় ৬,৫০০ টি দ্বীপের সমষ্টি। ১৮০৯ সাল পর্যন্ত দ্বীপগুলো সুইডেনের অধীনে ছিল। এর পর রাশিয়া ফিনল্যান্ডের সাথে এগুলোকেও দখলে নেয়। ১৯১৭ সালে রুশ সাম্রাজ্যের পতনের পর এগুলো ফিনল্যান্ডের অধীনে চলে আসে। ১৯২১ সালে জাতিপুঞ্জ এই দ্বীপপুঞ্জের ওপর ফিনীয় আধিপত্যের স্বীকৃতি দেয়, যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপবাসী সুইডেনের প্রশাসনে চলতে আগ্রহী ছিলেন। তবে একই সময়ে তাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ স্বায়ত্বশাসনের ক্ষমতাও দেয়া হয়, যার ফলশ্রুতিতে এলাকাটির সরকারি ভাষা সুয়েডীয়। ১৯৪৫ সালে এলাকার সংসদ পুনরায় সুইডেন কর্তৃক শাসিত হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়, তবে এতে এলাকাটির সাংবিধানিক অবস্থানের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের দ্বীপ বিষয়শ্রেণী:বাল্টিক দ্বীপপুঞ্জ বিষয়শ্রেণী:ফিনল্যান্ডের ঐতিহাসিক প্রদেশ বিষয়শ্রেণী:সুইডেনের ঐতিহাসিক প্রদেশ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা বিষয়শ্রেণী:সমুদ্রগামী জাতি
অলান্দ দ্বীপপুঞ্জ
লীলা মজুমদার (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখিকা। তিনি কলকাতার রায় পরিবারের প্রমদারঞ্জন রায় ও সুরমাদেবীর সন্তান (বিবাহপূর্ব নাম লীলা রায়)। তার জন্ম রায় পরিবারের গড়পাড় রোডের বাড়িতে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (যাঁর পৈতৃক নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়) ছিলেন প্রমদারঞ্জনের ভাই এবং লীলার কাকা। সেইসূত্রে লীলা হলেন সুকুমার রায়ের খুড়তুতো বোন এবং সত্যজিৎ রায়ের পিসি। লীলার বাল্যজীবন কাটে শিলঙে যেখানকার লরেটো কনভেন্টে তিনি পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজী পরীক্ষায় তিনি ইংরাজীতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন। তিনি বহু সংখ্যক বাংলা গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস রচনা করে নানান পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন। তিনি অনেক শিক্ষামূলক রচনা ও রম্যরচনা ইংরাজী থেকে বাংলায় অনুবাদও করেন। ১৯৩৩ সালে লীলা বিবাহ করেন দন্ত চিকিৎসক ডাঃ সুধীর কুমার মজুমদারকে। এই বিবাহে তাঁর পিতার প্রবল বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর স্বনির্বাচিত পাত্রকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেন। পিতৃপরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকলেও পিতার সঙ্গে সম্পর্ক চিরকালের মতো ছিন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে লীলা-সুধীর খুব সুখী দম্পতি ছিলেন। স্বামী আজীবন লীলার সাহিত্য চর্চায় উৎসাহী ছিলেন। তাদের এক পুত্র ডাঃ রঞ্জন মজুমদার ও এক কন্যা কমলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রথম গল্প লক্ষ্মীছাড়া ১৯২২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় সন্দেশ পত্রিকা পুনর্জীবিত করলে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ অবধি সাম্মানিক সহ-সম্পাদক হিসাবে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, ১৯৯৪-এ তার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য অবসর নেন। তার সাহিত্যিক জীবন প্রায় আট দশকের। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হল: হলদে পাখির পালক টং লিং পদি পিসীর বর্মী বাক্স সব ভুতুড়ে মাকু গল্পসল্প পাকদণ্ডী নামে তার লেখা আত্মজীবনীতে তার শিলঙে ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সঙ্গে তার কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের নানা মজার ঘটনাবলী ও বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তার দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে। তার প্রথম আত্মজীবনী 'আর কোনখানে'-এর জন্য ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। পুরস্কার ও সম্মাননা আনন্দ পুরস্কার ভারত সরকারের শিশু সাহিত্য পুরস্কার সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার বিদ্যাসাগর পুরস্কার ভুবনেশ্বরী পদক ভুবনমোহিনী দাসী সুবর্ণ পদক দেশিকোত্তম ডি-লিট, প্রমুখ বহিঃসংযোগ টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লীলা মজুমদারের শতবর্ষে পা রাখা উপলক্ষে নিবন্ধ ইংরেজি নিবন্ধ বিষয়শ্রেণী:১৯০৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০০৭-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাঙালি ঔপন্যাসিক বিষয়শ্রেণী:বাঙালি শিশুসাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:রবীন্দ্র পুরস্কার বিজয়ী
লীলা মজুমদার
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় (২৪ অক্টোবর ১৮৯৪ - ৩০ জুলাই ১৯৮৭) ছিলেন বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের রচয়িতা। রসরচনায়ও রয়েছে তার অসামান্য দক্ষতা। তিনি অনেক কৌতুক ও রঙ্গরসের গল্পও লিখেছেন। জন্ম ও শিক্ষা বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ২৪ অক্টোবর বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার পান্ডুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বিপিন বিহারী মুখোপাধ্যায়। তার আদি নিবাস হুগলী জেলার চাতরা হলেও তার তিন পুরুষের বাস বিহারের দ্বারভাঙ্গায় ছিল। বিভূতিভূষণ দ্বারভাঙ্গা পীতাম্বরী বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। দ্বারভাঙ্গা রাজ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং রিপন কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন। তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ. পাশ করেন। কর্মক্ষত্র তার কর্মক্ষত্র ছিল বৈচিত্রময়। কর্মজীবনের প্রথম দিকে তিনি ইন্ডিয়ান নেশন পত্রিকার কার্যাধ্যক্ষের পদে আসীন ছিলেন। পরে বিহারের দ্বারভাঙ্গায় মহারাজের সচিব হিসাবেও কাজ করেন। আবার পরবর্তি কালে কিছুকাল শিক্ষকতাও করেছেন। ১৯১৬ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত কর্মজীবনে বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা, ধনী পরিবারে গৃহ-শিক্ষকতা করেছিলেন। শিক্ষকতা চলাকালীন তিনি নিজেকে লেখার কাজে নিয়োজিত করেন। সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের তিনি রচয়িতা। তার জনপ্রিয়তম উপন্যাসটি হলো নীলাঙ্গুরিয়। এছাড়াও তিনি অনেক কৌতুক ও রঙ্গরসের গল্পও লিখেছেন। বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কৌতুক গল্পের বই বরযাত্রী'র ছয় বন্ধু গণশা, ঘোঁতনা, ত্রিলোচন, গোরাচাঁদ, রাজেন আর কে. গুপ্ত বাংলা রসসাহিত্যের পরিচিত চরিত্র। অল্প দু চার কথায় জীবন্ত চরিত্র সৃষ্টি করা বা একটা সমাজকে এরকম সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতেন বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়। কৌতুক রসের এরকম বই হিসেবে বরযাত্রী সিরিজ বাংলা সাহিত্যে অনন্য। কৌতুক রসের তার আরেকটি বিখ্যাত সৃষ্টি রানু সিরিজের গল্পগুলি। কিন্তু বিভূতিভূষণের প্রতিভা ছিল বহুমুখী। ছোটদের জন্য পুজোসংখ্যায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন, পোনুর চিঠি ও অন্যান্য নানান গল্প - যা পরিণত মনস্ক পাঠকেরাও পরম উৎসাহে পড়েছেন। সাহিত্যকর্ম বরযাত্রী রানু সিরিজের গল্প গুলি সর্গাদপীগরীয়সী দুয়ার হতে অদূরে কুশীপ্রাঙ্গনের চিঠি একই পথের দুই প্রান্ত্রে অযাত্রার জয়যাত্রা পনুর চিঠি কৈলাশের পাঠরানী দুষ্টুলক্ষিদের গল্প জীবন তীর্থ ( আত্মজীবনী) কাঞ্চনমূল্য (শরৎস্মৃতি পুরস্কার পান) এবার প্রিয়ংবদা ( রবীন্দ্র পুরস্কার পান) পুরস্কার বর্ধমান বিশবিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক 'ডি. লিট' উপাধি প্রদান করেন। তিনি আনন্দ পুরস্কার; শরৎস্মৃতি পুরস্কার; রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তথ্যসূত্র বহিঃসযোগ গ্রন্থ তালিকা তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি 'পথের পাঁচালী' ।১৯২৯ সালে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়। ১৯৩৯-৩৬ সালে "বিচিত্রা" পত্রিকায় প্রকাশিত হলে অনেক কৌতূহলী পাঠক আকৃষ্ট হয়েছিলেন। রোঁমা রোলার jean Christop এর সঙ্গে এটির বিশেষ সাদৃশ্য আছে। সরস গল্প ... দৃষ্টি প্রদীপ (১৩৪২),আরণ্যক (১৩৪৫), দেবযান (১৩৫১), ইছামতি (১৩৫৬)ইত্যাদি । কয়েক খানি গল্প সংগ্রহ.... মেঘমাল্লার (১৩৩৮),মৌরীফুল (১৩৩৯), যাত্রাবদল (১৩৪১) বিষয়শ্রেণী:বাঙালি লেখক বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ঔপন্যাসিক বিষয়শ্রেণী:পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:আনন্দ পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:রবীন্দ্র পুরস্কার বিজয়ী
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত (, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯০৩ - ২৯শে জানুয়ারি, ১৯৭৬) বিশিষ্ট বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের পরে সাহিত্যজগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কল্লোল যুগের লেখকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। প্রাথমিক জীবন পিতার কর্মস্থল নোয়াখালী শহরে তার জন্ম হয়। তবে তার পরিবারের আদি নিবাস ছিল বর্তমান মাদারিপুর জেলায়। তার বাবা রাজকুমার সেনগুপ্ত নোয়াখালী আদালতের আইনজীবী ছিলেন। অচিন্ত্যকুমারের শৈশব, বাল্যজীবন, ও প্রাথমিক শিক্ষা নোয়াখালীতেই সম্পন্ন হয়। ১৯১৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় অগ্রজ জিতেন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের নিকট চলে যান এবং সাউথ সাবার্বান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২০), সাউথ সাবার্বান কলেজ (বর্তমান আশুতোষ কলেজ) থেকে আই. এ. (১৯২২), এবং ইংরেজি সাহিত্যে অনার্সসহ বি. এ. (১৯২৪) পাস করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম. এ (১৯২৬) ও পরবর্তীকালে বি. এল ডিগ্রী (১৯২৯) লাভ করেন। কর্মজীবন অচিন্ত্যকুমার ১৯২৫ সালে কল্লোল পত্রিকা প্রকাশনার দায়িত্ব নেন। তিনি বিচিত্রায়ও কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৩১ সালে তিনি অস্থায়ী মুন্সেফ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ক্রমে সাব-জজ, জেলা জজ ও ল' কমিশনের স্পেশাল অফিসার পদে উন্নীত হয়ে ১৯৬০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সাহিত্যকর্ম ১৯২১ সালে প্রবাসী পত্রিকায় নীহারিকা দেবী ছদ্মনামে অচিন্ত্যকুমারের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তিনি উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনায় বিশেষ কৃতিত্ব দেখান। তিনি উপন্যাসের আঙ্গিকে আবেগপূর্ণ ভাষায় ধর্মগুরুদের জীবনীও (যেমন- পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ, চার খণ্ডে (১৯৫২-১৯৫৭)) লিখেছেন। তার প্রথম উপন্যাস বেদে (১৯২৮); এটি আঙ্গিক, রচনাভঙ্গি ও বিষয়বিন্যাসে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট উপন্যাস। তার লেখায় আধুনিকতা অতি প্রবলভাবে ফুটে উঠেছে। কাকজ্যোৎস্না " প্রথম কদমফুল তার অন্য দুইটি বিখ্যাত উপন্যাস। ছোটগল্পশিল্পী হিসেবেও তিনি খ্যাত। বিচারবিভাগে চাকরির বদৌলতে তিনি বাংলাদেশের নানা স্থানে ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সংস্পর্শে আসেন; এইসব অন্তরঙ্গ পরিচিতজনদের জীবনের নানা কাহিনী অচিন্ত্যকুমার তার ছোট গল্পগুলিতে নিপুণভাবে এঁকেছেন। টুটাফাটা (১৯২৮) তার প্রথম ছোট গল্পের বই। তার স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ কল্লোল যুগ (১৯৫০) পাঠক-মহলে বেশ সাড়া জাগায়। অচিন্ত্যকুমারের গ্রন্থসংখ্যা সত্তরের মত। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলির একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল। উপন্যাস বেদে (১৯২৮) কাকজোৎস্না (১৯৩১) বিবাহের চেয়ে বড় (১৯৩১) প্রাচীর ও প্রান্তর (১৯৩২) প্রথম কদমফুল (১৯৬১) জীবনীগ্রন্থ পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ (চার খন্ড ১৯৫২-১৯৫৭) বীরেশ্বর বিবেকানন্দ (তিন খণ্ড, ১৯৫৮-৬৯) উদ্যত খড়্গ ( অখণ্ড সংস্করণ, মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা) পরমাপ্রকৃতি শ্রী শ্রী সারদামণি অখণ্ড অমিয় শ্রী গৌরাঙ্গ স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ কল্লোলযুগ (১৯৫০) জৈষ্ঠের ঝড় গল্পগ্রন্থ টুটা-ফুটা (১৯২৮) অকাল বসন্ত (১৯৩২) অধিবাস (১৯৩২) যতনবিবি (১৯৪৪) কাঠ খড় কেরোসিন (১৯৪৫) চাষাভুষা (১৯৪৭) সারেঙ (১৯৪৭) হাড়ি মুচি ডোম (১৯৪৮) একরাত্রি (১৯৬১) কাব্যগ্রন্থ অমাবস্যা (১৯৩০) আমরা (১৯৩৩) প্রিয়া ও পৃথিবী (১৯৩৬) নীল আকাশ (১৯৪৯) আজন্মসুরভী (১৯৫১-৫২) পূর্ব-পশ্চিম (১৯৬৯) উত্তরায়ণ (১৯৭৪) নাটক একাঙ্ক নাট্য-সংকলন (১৯৪৫) পুরস্কার সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে জগৎ্তারিণী পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার ও শরৎচন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কলকাতায় তার মৃত্যু হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বাংলাপিডিয়া বাংলা বিশ্বকোষ। প্রথম খণ্ড। নওরোজ কিতাবিস্তান। ডিসেম্বর, ১৯৭২। বাঙালি চরিতাভিধান। প্রথম খণ্ড। সাহিত্য সংসদ। জানুয়ারি ২০০২। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, ডঃ শিশিরকুমার দাস, ২০০৩। বিষয়শ্রেণী:১৯০৩-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৭৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সাহিত্যিক বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কবি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বিচারপতি বিষয়শ্রেণী:রবীন্দ্র পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:বাঙালি বিচারপতি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর বাংলাদেশী কবি
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
আসুসটেক কম্পিউটার ইনকর্পোরেটেড (ASUSTeK Computer Inc.) তাইওয়ানে প্রতিষ্ঠিত একটি কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯০ সালের ১২ এপ্রিল কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আসুস কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ছাড়াও মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, পিডিএ, ল্যাপটপ ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী তৈরি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি লন্ডন ও তাইওয়ান শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত। আসুস বিশ্বের সর্বাধিক পরিমাণ মাদারবোর্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আসুস বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের জন্য নানা ধরনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে থাকে। এদের মধ্যে রয়েছে সোনি (প্লে স্টেশন- ২), অ্যাপল (আইপড, ম্যাক বুক), এইচপি, কমপ্যাক, এলিয়েনওয়্যার, ইত্যাদি। তথ্যসূত্র আসুসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট আসুসের অফিশিয়াল ফেসবুক পৃষ্ঠা বিষয়শ্রেণী:তাইওয়ানী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:তাইওয়ানের ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি বিষয়শ্রেণী:তাইওয়ানী মার্কা
আসুস
thumb|250px|অস্ট্রিয়ার মানচিত্রে ভিয়েনার অবস্থান ভিয়েনা (জার্মান ভাষায় Wien ভ়ীন্‌) অস্ট্রিয়ার রাজধানী এবং ইউরোপের একটি ঐতিহাসিক শহর। অস্ট্রিয়ার সবথেকে বড় শহর।অস্ট্রিয়া, আনুষ্ঠানিক ভাবে অস্ট্রিয়া প্রজাতন্ত্র, যাহা মধ্য ইউরোপের দক্ষিন অংশে অবস্থিত ও পূর্ব আল্পাইন অংশে একটি স্থলবেষ্টিত, নয়টি সংযুক্ত রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি দেশ, যাহার ভিয়েনা ও একটি রাজ্য। দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত ভিয়েনা এবং ইহা অস্ট্রিয়ার সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজৈতিক কার্যকলাপের কেন্দ্র। ভিয়েনা হ'ল ইউনাইটেড নেশন, ওপেক এবং ও এসসিই সহ অনেক বৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থা সমুহের হোস্ট। ভিয়েনা শহরটি অস্ট্রিয়ার পূর্ব অংশে অবস্থিত এবং ইহার নিকটেই চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরি অবস্থিত। জীবনযাত্রার মান বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ভালো শহর হিসেবে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার নাম উঠে এসেছে। ভিয়েনার জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। খাবার, পরিবহন থেকে শুরু করে থিয়েটার, জাদুঘর ও অপেরার সব জায়গায়ই দেশটিতে ব্যয় পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় কম। সুগঠিত নগর কাঠামো, নিরাপদ রাস্তাঘাট আর ভালো গণস্বাস্থ্যসেবা ভিয়েনাকে বসবাসের জন্য বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করে তুলেছে । আন্তর্জাতিক সম্মান জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা -এর সদর দপ্তর এই শহরে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক সংগঠন IAEA,OPEC-ও এখানে অবস্থিত। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রিয়ার শহর বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাজধানী
ভিয়েনা
বিবিসি বাংলা বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অধীনে বিদেশী ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত একটি বিভাগ। ইতিহাস বিবিসি থেকে বাংলা সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৪১ সালের ১১ই অক্টোবর। প্রথমে এর অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো ১৫ মিনিট। নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান তথা সংবাদ পরিবেশনের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের ১ কোটি ৩০ লক্ষ বাংলাভাষী মানুষের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় নাম। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এর নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচারে বিপুল জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিল। সম্প্রচার thumb|২৩ ডিসেম্বর ২০১১ সালের বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটের প্রধান পাতা বিবিসি বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান এফ.এম, মিডিয়াম ওয়েভ ও শর্টওয়েভে সমগ্র বিশ্বে সম্প্রচারিত হয় লন্ডনের বুশ হাউজের সদর দপ্তর হতে। তাছাড়া ঢাকা, কোলকাতা ব্যুরো অফিসে এ বিভাগের সম্প্রচার ত্বরান্বিত করতে কাজ করছেন অনেক সংবাদকর্মী ও প্রযোজক। রেডিও, ইন্টারনেট, ইন্টারনেট রেডিও এবং ভিডিও এ সকল মাধ্যমেই বিবিসি বাংলা সম্প্রচারিত হচ্ছে। বাংলাদেশে যেসব শহর থেকে এফ এম প্রচার তরঙ্গে বিবিসি বাংলার অনুষ্ঠান শোনা যায় তার তালিকা নিম্নরূপঃ- ঢাকা - এফ এম ১০০ বরিশাল - এফ এম ১০৫ কুমিল্লা - এফ এম ১০৩.৬ কক্সবাজার - এফ এম ১০০.৮ ঠাকুরগাঁও - এফ এম ৯২ চট্টগ্রাম - এফ এম ৮৮.৮ রংপুর - এফ এম ৮৮.৮ রাজশাহী - এফ এম ৮৮.৮ সিলেট - এফ এম ৮৮.৮ খুলনা - এফ এম ৮৮.৮ ভারতের যেসব শহরে কলকাতা সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান বর্তমানে এই বিভাগ থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা এবং রাত - ২ দফায় ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠান সমুহের নাম এবং প্রচারের সময় - জিএমটি ১৩:৩০ - প্রবাহ, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট। জিএমটি ১৬:৩০ - পরিক্রমা, বাংলাদেশ সময় রাত ১০:৩০ মিনিট। বাংলাদেশ সংলাপ বিবিসি বাংলার আয়োজন বাংলাদেশ সংলাপ বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেল “চ্যানেল আই”-এর সহযোগিতায় সম্প্রচারিত একটি অনুষ্ঠান, যেটি বিবিসি বাংলা রেডিওতে এবং বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইটে নিয়মিত প্রচারিত হয়। সমসাময়িক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে শ্রোতা, দর্শক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সরাসরি অংশগ্রহণে এ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। 'বাংলাদেশ সংলাপের' প্রতিটি অনুষ্ঠানে শ্রোতারা আমন্ত্রিত প্যানেল সদস্যদের কাছে তাদের প্রশ্ন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে প্রশ্নের উত্তর নিয়ে মতামত দেন। অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি হচ্ছে ৫০ মিনিট। বিবিসি বাংলা এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য, আমেরিকা এবং ইউরোপ-সহ সমগ্র বিশ্বে বাংলাভাষী মানুষের কাছে অন্যতম একটি সংবাদ মাধ্যম। আরো দেখুন বাংলাদেশের বেতার কেন্দ্রের তালিকা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশ বেতার বিবিসি বিবিসি নিউজ আল জাজিরা ডয়চেভেলে ভয়েস অফ রাশিয়া ভয়েস অব আমেরিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিবিসি বাংলার ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:বিবিসি বিষয়শ্রেণী:বাংলায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ বাংলাদেশী গণমাধ্যম বিষয়শ্রেণী:১৯৪১-এ প্রতিষ্ঠিত
বিবিসি বাংলা
পূর্ব-পশ্চিম বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাংলা ভাষায় লেখা একটি বৃহৎ উপন্যাস। এই উপন্যাসটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসটিতে বিভাজনপূর্ব পূর্ব বাংলার একটি পরিবার, ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময়কার পরিস্থিতি, দেশত্যাগ, উদ্বাস্তুদের জীবন, নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা, পশ্চিমবঙ্গের নক্সাল আন্দোলন, এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্থান পেয়েছে। বিষয়শ্রেণী:বাংলা উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়শ্রেণী:সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার ভারতীয় উপন্যাস
পূর্ব-পশ্চিম
বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর (১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ বঙ্গাব্দ) প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশে) এই একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন-পরবর্তী কালের প্রেক্ষাপটে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন "বর্ধমান হাউজ"-এ এই একাডেমির সদর দপ্তর স্থাপিত হয়। একাডেমির "বর্ধমান হাউজে" একটি "ভাষা আন্দোলন জাদুঘর" আছে। ইতিহাস right|thumb|250px|বাংলা একাডেমির প্রধান ভবন বর্ধমান হাউজ বশীর আল-হেলালের মতে, বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও সংগঠনের চিন্তা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ প্রথম করেন। ড. শহীদুল্লাহ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ এ পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে ভাষা সংক্রান্ত একটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার দাবি করেন। এছাড়া দৈনিক আজাদ পত্রিকা বাংলা একাডেমি গঠনে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ১৯৫২ সালের ২৯ এপ্রিল পত্রিকাটি "বাংলা একাডেমী" প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে এ প্রসঙ্গে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সময় কিছু প্রচেষ্টা নেয়। ১৯৫৪ সালে এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হলে শিক্ষামন্ত্রী সৈয়দ আজিজুল হক নির্দেশ দেন, অবশেষে ১৯৫৫ সালে ৩ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার উদ্‌বোধন করেন "বাংলা একাডেমি"। বাংলা একাডেমির প্রথম সচিব মুহম্মদ বরকতুল্লাহ। তার পদবি ছিল "স্পেশাল অফিসার"। ১৯৫৬ সালে একাডেমির প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হন অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক। বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশিত বই আহমদ শরীফ সম্পাদিত দৌলত উজির বাহরাম খান রচিত লায়লী-মজনু। স্বাধীনতার পর থেকে একাডেমি চত্বরে স্বল্প পরিসরে বইমেলা শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সাল থেকে বড়ো আকার ধারণ করে। ২০০৯-২০১১ খ্রিষ্টাব্দে একাডেমির বর্ধমান হাউজ ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভাষা আন্দোলন জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে। লক্ষ্য ও আদর্শ দেশজ সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমকালীন শিল্প ও সাহিত্য সংরক্ষণ এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির মানসিক বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন। সাংগঠনিক কাঠামো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলা একাডেমি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। একাডেমির কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন মহাপরিচালক। এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন প্রফেসর মযহারুল ইসলাম, যিনি ২ জুন ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে দায়িত্বগ্রহণ করেন। আভ্যন্তরিক কাঠামো বাংলা একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ৪টি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলো হচ্ছে: গবেষণা, সংকলন ও ফোকলোর বিভাগ ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ পাঠ্যপুস্তক বিভাগ প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ কার্যক্রম thumb|300px|ভাষাশহিদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপিত মোদের গরব ভাস্কর্য গ্রন্থমেলা গ্রন্থমেলায় আগ্রহী কথাসাহিত্যিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সরদার জয়েনউদ্দীন আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ উপলক্ষে ১৯৭২ সালে ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। সেই থেকেই বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা একাডেমির একুশের অনুষ্ঠানে কোনো বইমেলা হয় নি। তবে বাংলা একাডেমির দেয়ালের বাইরে স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনের কিছু বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেন। তাঁর দেখাদেখি মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহা এবং বর্ণমিছিলের তাজুল ইসলামও ওভাবেই তাদের বই নিয়ে বসে যান। ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একটি বিশাল জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মেলার উদ্বোধন করেন। সে উপলক্ষে নিজামী, চিত্তরঞ্জন এবং বর্ণমিছিলসহ সাত-আটজন প্রকাশক একাডেমির ভেতরে পূর্ব দিকের দেয়ালঘেঁষে বই সাজিয়ে বসে যান। সে বছরই প্রথম বাংলা একাডেমির বইয়েরও বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে একটি স্টলে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি একটি জাতীয় বই মেলার আয়োজন করে যা অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামে আখ্যায়িত হয়। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে করুণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় "অমর একুশে গ্রন্থমেলা"। ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলাকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামকরণ করা হয়। গবেষণা গ্রন্থাগার পুস্তক প্রকাশনা বাংলা একাডেমি থেকে জানুয়ারি, ২০১৩ সাল পর্যন্ত মোট ৪৯৬৫ টি পুস্তক ও পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতে রয়েছে কথাসাহিত্য, কবিতা, সাধারণ অভিধান, পরিভাষা অভিধান, বিভিন্ন লেখক-কবির রচনাবলি, সাহিত্য গবেষণা, সাহিত্য সমালোচনা, দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, ভাষা-আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শিশু-কিশোর সাহিত্য, অনুবাদ, ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনী ইত্যাদি বিষয়ের গ্রন্থাবলি। পত্র-পত্রিকা প্রকাশনা বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশনা “বাংলা একাডেমি পত্রিকা” প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৫৭-র জানুয়ারি মাসে। উত্তরাধিকার - সৃজনশীল মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এটি ১৯৭৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। দশ বছর পত্রিকাটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে চালু থাকলেও ১৯৮৩ সাল থেকে ত্রৈমাসিকে রূপান্তরিত হয় এবং ধীরে ধীরে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। তবে, ২০০৯ সালের জুলাই থেকে মাসিক হিসেবে এটি প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে নব আঙ্গিকে। বাংলা একডেমি পত্রিকা - গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক পত্রিকা। বাংলা একাডেমি বার্তা - বাংলা একাডেমির ত্রৈমাসিক মুখপত্র লেখা ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ‘বাংলা একাডেমি বার্তা’ নামে প্রকাশ করা হচ্ছে। বাংলা একডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা - ষাণ্মাসিক বিজ্ঞান পত্রিকা। (বর্তমানে বিলুপ্ত) ধানশালিকের দেশ - কিশোরদের জন্য প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা। বিভিন্ন বিশেষ প্রকল্প ভাষা শহিদ গ্রন্থমালা অঞ্চলভিত্তিক ফোকলোর গবেষণা গ্রন্থমালা মুদ্রণ বাংলা একাডেমির একটি নিজস্ব মুদ্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। পুরস্কার প্রদান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা ভাষার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার। এটি ছাড়াও বাংলা একাডেমি কয়েকটি পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এগুলো হল: রবীন্দ্র পুরস্কার। চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার: - ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রবর্তক চিত্তরঞ্জন সাহার নামে একটি পদক প্রবর্তন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী বছরে প্রকাশিত বইয়ের গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় স্টল ও অঙ্গসজ্জার জন্য দেয়া হয় 'সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার'। পলান সরকার স্মৃতি পুরস্কার: - অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সর্বাধিক গ্রন্থ ক্রয়ের জন্য সেরা ক্রেতাকে দেয়া হয় 'পলান সরকার পুরস্কার'।[৪] মোহাম্মদ নুরুল হক গ্রন্থ–সুহৃদ পুরস্কার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬০ সালে প্রবর্তন করা হয়। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন শাখায় বছরে ৯ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বছরে ২ জনকে এই পুরস্কার প্রদানের নিয়ম করা হয়। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চারটি শাখায় পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। স্বীকৃতি শিল্পচর্চায় অনন্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার” হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে।তাছাড়াও বাংলা একাডেমিকে আনন্দ পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমি তা প্রত‍্যাখ‍্যান করে। বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ বাংলা একাডেমি নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের গুণী, পণ্ডিত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি বছর সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। এছাড়া বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তগণও ফেলো হিসেবে গণ্য হন। বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভায় সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। সম্মানসূচক ফেলোশিপপ্রাপ্তদের সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেনকেও এই সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। চিত্রশালা আরও দেখুন বাংলা একাডেমি পুরস্কার; সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বাংলা একাডেমি ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশি সংস্কৃতি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষা বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার শিক্ষায়ন বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:বাংলা একাডেমি বিষয়শ্রেণী:বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:১৯৫৫-এ প্রতিষ্ঠিত
বাংলা একাডেমি
ভ্যানকুভার (ইংরেজি ভাষায়:Vancouver; আ-ধ্ব-ব: [vænˈkuːvɚ]) উত্তর আমেরিকার রাষ্ট্র কানাডার পশ্চিম উপকূল তথা প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমভাগের নিম্ন মূল ভূখণ্ড বা লোয়ার মেইনল্যান্ড অঞ্চলে অবস্থিত একটি নগরী। এটি জর্জিয়া প্রণালীর তীরে, কোস্ট পর্বতমালার পাদদেশে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার সীমান্ত থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। মূল ভ্যানকুভার নগরীতে প্রায় ৬ লক্ষ অধিবাসী বাস করে। নগরীটি "মেট্রো ভ্যানকুভার" নামক আঞ্চলিক জেলার অন্তর্ভুক্ত, যাতে প্রায় ২৪ লক্ষ লোকের বাস; এটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া তথা পশ্চিম কানাডার বৃহত্তম এবং কানাডার তৃতীয় বৃহত্তম মহানগর এলাকা। জনঘনত্বের বিচারে ভ্যানকুভার কানাডার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরী; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫৪০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি বাস করে। ফলে এটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের ৫ম সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ নগরী (নিউ ইয়র্ক, গুয়াদালাহারা, সান ফ্রান্সিসকো ও মেক্সিকো নগরী-র পরে)। ভ্যানকুভার নৃতাত্ত্বিক ও ভাষাগত দিক থেকে কানাডার সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় নগরীগুলির একটি। এখানকার ৫২% অধিবাসীর মাতৃভাষা ইংরেজি নয়। ৪৮.৯% অধিবাসীর মাতৃভাষা ইংরেজি বা ফরাসি কোনওটিই নয়, এবং ৫০.৬% অধিবাসী দৃশ্যতই বিভিন্ন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সদস্য। ফ্রেজার গিরিখাত স্বর্ণানুসন্ধানের যুগে, ১৮৬০-এর দশকে এই এলাকায় বহু অভিবাসী লোকের আগমন ঘটলে ভ্যানকুভার শহরের পত্তন হয়। তখন এটি একটি করাতকল এলাকা ছিল, যার নাম ছিল হেস্টিংস মিল। ভ্যানকুভারেরর আদি নাম ছিল গ্যাসটাউন। গ্যাসি জ্যাক নামের একজন ব্যক্তি করাতকলের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি পানশালার মালিক ছিলেন। এই পানশালাকে ঘিরে একটি লোকালয় গড়ে ওঠে। আজও গ্যাসটাউন বাষ্পীয় ঘড়ি এলাকাতে গেলে এই আদি পত্তনস্থলটি পরিদর্শন করা সম্ভব। পরবর্তীতে গ্যাসটাউন লোকালয়টি গ্র্যানভিল নামে একটি শহর হিসেবে নথিভুক্ত হয়। ১৮৮৬ সালে কানাডীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় রেল কোম্পানির সাথে এক চুক্তি অনুযায়ী শহরটির নাম বদলে ভ্যানকুভার রাখা হয়। ব্রিটিশ নাবিক ও ক্যাপ্টেন জর্জ ভ্যানকুভারের নামে এই নামকরণ করা হয়; তিনি ১৮শ শতকে এই অঞ্চলটিতে জরিপ চালান। ভ্যানকুভার নামটি মূলত ওলন্দাজ শব্দগুচ্ছ "van Coevorden" থেকে এসেছে, যার অর্থ "কুফর্ডেন (Coevorden) শহরের (অধিবাসী)"। ১৮৮৭ সালে ভ্যানকুভার কানাডীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় মহাদেশীয় রেলপথের সাথে যুক্ত হয়। এসময় প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে ভ্যানকুভারের বৃহৎ প্রাকৃতিক সামুদ্রিক পোতাশ্রয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর ফলে নগরীটি একদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এশিয়া ও পূর্ব এশিয়া এবং অন্যদিকে পূর্ব কানাডা ও ইউরোপ, এই দুই অঞ্চলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্যিক সংযোগস্থলে পরিণত হয়। কয়েক দশকের মধ্যেই এটি দ্রুত একটি বড় শহরে পরিণত হয়। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ভিত্তি করে শহরের ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে ওঠে; এদের মধ্যে বনজ সম্পদ আহরণ, খনিশিল্প, মৎস্য আহরণ এবং কৃষিখামার ছিল প্রাথমিক কিছু ব্যবসাক্ষেত্র। পানামা খালের উদ্বোধনের পর ভ্যানকুভার বন্দরের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব বেড়ে যায়। ২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী এবং খালাসকৃত মালামালের ওজনের নিরিখে ভ্যানকুভার সমুদ্রবন্দরটি ("পোর্ট মেট্রো ভ্যানকুভার") দুই আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। এটি কানাডার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর এবং উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বৈচিত্রায়িত সমুদ্রবন্দর। অরণ্য থেকে কাঠ আহরণ ভ্যানকুভারের বৃহত্তম শিল্পখাত। প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত পৌরকেন্দ্র ভ্যানকুভারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পখাত হলো পর্যটন। সময়ের সাথে সাথে ভ্যানকুভার একটি সেবাভিত্তিক বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ১৯৮৬ সালের বিশ্বমেলার পর এটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ভ্যানকুভার ও পার্শ্ববর্তী বার্নাবাই শহরটি মিলে বৃহত্তর ভ্যানকুভার নগরীটি উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম চলচ্চিত্র নির্মাণ কেন্দ্রগুলির একটিতে পরিণত হয়েছে। নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের পরেই ভ্যানকুভার উত্তর আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম চলচ্চিত্র শিল্পশহর। ভ্যানকুভারকে "উত্তরের হলিউড" নামেও ডাকা হয়। ভ্যানকুভার নিয়মিতভাবে বসবাসযোগ্যতা ও উচ্চ জীবনযাত্রার মানের নিরিখে বিশ্বের সেরা পাঁচটি নগরীর মধ্যে একটি হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। ২০১১ সালে ভ্যানকুভার নগরীটি ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ নগরীতে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা করে। নগরীটির নগর পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়ন-সংক্রান্ত দর্শনটি "ভ্যানকুভারবাদ" নামে পরিচিত। ভ্যানকুভার বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ১৯৫৪ সালে এটি কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল। ১৯৬৯ সালে পরিবেশবাদী আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্রিনপিস ভ্যানকুভার নগরীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে ভ্যানকুভারে ২১শ শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর বসে। ভ্যানকুভার এই সম্মানপ্রাপ্ত তৃতীয় শহর; এর আগে ১৯৭৬ সালে কানাডার মোঁরেয়াল (মন্ট্রিয়াল) এবং ১৯৮৮ সালে ক্যালগারি নগরীতে শীতকালীন অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৫ সালের প্রমীলা ফুটবল বিশ্বকাপের সমাপনী শিরোপা নির্ধারণী খেলাটিসহ আরও বেশ কিছু খেলা ভ্যানকুভার নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:কানাডার শহর
ভ্যানকুভার
অটোডেস্ক থ্রিডিএস ম্যাক্স, প্রাক্তন নাম থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স () হল একটি পেশাদারী থ্রিডি কম্পিউটার গ্রাফিক্স প্রোগ্রম যার মাধ্যমে থ্রিডি এনিমেশন, মডেল, গেম এবং ইমেজ তৈরি করা হয়। সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে অটোডেক্স মিডিয়া অ্যান্ড এনটারটেইনমেন্ট যার আগে নাম ছিল যথাক্রমে ডিসক্রিট এবং কাইনেটিক্স। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন এবং টেলিভিশন এবং সিনেমার জন্য বিভিন্ন স্পেশাল এফেক্ট তৈরি করা যায়, তবে কম্পিউটার গেম শিল্পেই এটি সর্বাধিক ব্যবহার হয়। সফটওয়্যারটি কেবলমাত্র উইনডোজ প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহার করা যায়। সফটওয়্যারটিতে উন্নত মানের শেডার, রেডিওসিটি, পার্টিকেল সিস্টেম, গ্লোবাল ইলিউমিনেসন, সম্পূর্ণ পরিবর্তনযোগ্য ইউজার ইন্টারফেস, এবং একটি স্ক্রিপটিঙ ভাষা ম্যাক্সস্ক্রিপ্ট রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য কোম্পানির তৈরি প্রচুর প্লাগ ইন সফটওয়্যারও পাওয়া যায় যা আলাদা ভাবে কিনতে হয়। সাধারনভাবে চার ধরনের মডেলিং এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে করা যায় যেমন পলিগণ মডেলিং , নার্বস মডেলিং, সারফেস এবং প্যাচ মডেলিং এবং প্রিডিফাইনড্ বস্তু দিয়ে মডেলিং। সফটওয়্যারটি বিভিন্ন বিখ্যাত সিনেমাতে স্পেশাল এফেক্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে যেমন ডাই অ্যানাদার ডে, জুরাসিক পার্ক, মাইনরিটি রিপোর্ট, মিশন ইম্পসিবল: ২, স্টার ওয়ার্স:এপিসোড ৩ রিভেঞ্জ অফ দ্য সিথ, দ্য মমি, দ্য ম্যাট্রিক্স রিলোডেড প্রভৃতি। এই সফটওয়্যারটির সাহায্যে তৈরি কয়েকটি কম্পিউটার গেম হল ডায়াবলো ২, হাফ লাইফ, হ্যালো ২, মাফিয়া, মেডাল অফ অনার, নিড ফর স্পীড, ম্যাক্স পেইন প্রভৃতি। বর্তমান এই সফটওয়্যারটির ২০১০ সংস্করন প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Autodesk 3ds Max Autodesk 3ds Max Design History of 3ds Max Pre-history of 3ds Max Gary Yost's website The History of 3D Studio – Tom Hudson interview The History of 3D Studio – Gary Yost interview Demo of 3D Studio "THUD" prototype from November 1988 - Tom Hudson বিষয়শ্রেণী:১৯৯০-এর সফটওয়্যার বিষয়শ্রেণী:৩ডি গ্রাফিক্স সফটওয়্যার বিষয়শ্রেণী:৩ডি অ্যানিমেশন সফটওয়্যার বিষয়শ্রেণী:অটোডেস্ক বিষয়শ্রেণী:অ্যানিমেশন সফটওয়্যার
অটোডেস্ক থ্রিডিএস ম্যাক্স
কোয়ান্টাম পরিগণনা () কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি অত্যন্ত নবীন শাখা। তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের চর্চায় এতদিন কেবল চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাব বিবেচনা করা হতো। কিন্তু মুরের সূত্র বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। মুরের সূত্র অনুসারে, কম্পিউটার চিপের আকার প্রতি ১৮ মাসে অর্ধেকে নেমে আসছে। এভাবে চলতে থাকলে কম্পিউটার চিপের ক্রমাগত ক্ষুদ্র হতে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশসমূহ একপর্যায়ে চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের পরিবর্তে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের নিয়মসমূহের অধীনে আচরণ করা শুরু করবে। হার্ডওয়্যারের এই মৌলিক পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের সীমানাও নতুন করে নির্ধারণ করেছে। অনেকে মনে করেন, বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যানের বিখ্যাত বক্তৃতা দেয়ার্জ প্লেনটি অভ রুম অ্যাট দ্য বটম: অ্যান ইনভিটেশন টু এন্টার আ নিউ ওয়ার্ল্ড অভ ফিজিক্স (There's Plenty of Room at the Bottom: An Invitation to Enter a New Field of Physics, "নিচে অনেক জায়গা আছে: পদার্থবিজ্ঞানের এক নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশের নিমন্ত্রণ") গবেষক মহলে প্রথমবারের মত অতিক্ষুদ্র সংগঠন নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করে। ১৯৫৯ সালের ২৯শে ডিসেম্বর, ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি-তে অনুষ্ঠিত আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির বার্ষিক সভায় দেয়া এ বক্তৃতায় ফাইনম্যান আণবিক মাপনীতে প্রকৌশলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। ফাইনম্যান বক্তৃতাটিতে আণবিক অথবা অতিপারমাণবিক মাপনীতে প্রকৌশলের ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানজনিত প্রপঞ্চ বিবেচনায় আনার উপর জোর দেন। পরিভাষা Quantum computation - কোয়ান্টাম পরিগণনা Classical mechanics - চিরায়ত বলবিজ্ঞান Quantum mechanics - কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান Moore's law - মুরের বিধি Structure - সংগঠন Molecular - আণবিক Subatomic - অতিপারমাণবিক Scale - মাপনী Phenomenon - প্রপঞ্চ বিষয়শ্রেণী:কম্পিউটার বিজ্ঞান
কোয়ান্টাম পরিগণনা
শ্বেতবিবর (White Hole) হল কৃষ্ণ বিবরের বিপরীত ঘটনা। কৃষ্ণ বিবর সবকিছু নিজের মধ্যে আত্মসাৎ করে নেয়, আর শ্বেত বিবর সবকিছু বাইরে বের করে দেয়। এজন্য এটি খুব উজ্জ্বল। সময়কে বিপরীত দিকে চালালে কৃষ্ণ বিবরকে শ্বেত বিবর বলে মনে হবে। এই প্রক্রিয়াটিকে "টাইম রিভার্সাল অফ ব্ল্যাক হোল" বলা হয়। একে একট উপপ্রমেয়মূলক তারা (Hypothetical star) হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। কৃষ্ণ বিবরের মত শ্বেত বিবরেরও ভর, চার্জ, কৌনিক ভরবেগ আছে। হোয়াইট হোল এমন একটি বস্তু যা পদার্থবিজ্ঞানের কিছু তত্ত্বে দেখা যায়। কেউই এটা এখনো দেখেনি। যখন একটি ব্লাক হোল নিষ্পন্ন হয় তখন সব কিছু এর মধ্যে এসে পতিত হয়। আর যেসব বস্তু ব্লাক হোলে পতিত হয় সেগুলোকে কোনো একখানে যেতে হয়। হোয়াইট হোলের ধারণা এভাবেই আসে। যে বস্তুগুলো ব্লাক হোলে পতিত হয় সেগুলো কোথায় যায়? হয় সেগুলো আমাদের মহাবিশ্বে নাহয় অন্য কোনোভাবে অন্য কোনো মহাবিশ্বে। তবে অন্য মাহাবিশ্বে গেলে শক্তির সংরক্ষণশীলতার নীতির বিঘ্ন ঘটবে, যেমন আমাদের মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট, তাহলে বস্তুর মধ্যে সংরক্ষিত শক্তি অন্য মহাবিশ্বের গেলে ঐ মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ কমে যাবে, যা শক্তি সংরক্ষণশীলতার নীতির বিঘ্ন ঘটায়, পক্ষান্তরে বিজ্ঞানী ডাল্টনের পরমাণু মতবাদে বলা হয়েছে পরমাণু সৃষ্টি করা বা ধ্বংস করা যাবে না যেহেতু বস্তুর মধ্যে পরমাণু বিদ্যমান সেহেতু বস্তু অন্য মহাবিশ্বে গিয়ে পরমাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারবে না, কিন্তু তার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ অন্য মহাবিশ্বে যাওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তিই নেই। তাই ধারণা করা হয় বস্তুগুলো বের হতে হলে এমন মাধ্যম দরকার যা সবকিছু বের করে দেয়। আর এই ধারণা থেকেই জন্ম নেয় হোয়াইট হোলের। বিজ্ঞানীদের ধারণা যতটুকু পজেটিভ গ্রাভিটির চাপে ব্লাক হোল সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এবং সব কিছুকে নিজের করে নিচ্ছে ঠিক তেমনি করে হোয়াইট হোল নেগেটিভ গ্রাভিটির চাপে হোয়াইট হোল সবকিছু বের করে দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ব্লাক হোলের কোয়াসার গুলো হতে পারে হোয়াইট হোল। সব কিছু যেহেতু বের করে দেয় তাই একে সাদা দেখা যায়। উৎপত্তি হোয়াইট হোল হলো মহাবিশ্বের একটি তাত্ত্বিক অংশ। চিন্তা করা হয় এটি ব্ল্যাক হোলের সম্পূর্ণ বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। ব্ল্যাক হোলে থেকে যেমন কোনো কিছু পালাতে পারেনা তেমনিভাবে হোয়াইট হোল সবকিছু উদ্গিরণ করে দেয় এবং কোনো কিছুই এমনকি শক্তিও এর কাছে যেতে পারেনা। হোয়াইট হোল সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সূত্রগুলোর একটি সম্ভাব্য সমাধান। এই তত্ত্বানুসারে যদি মহাবিশ্বে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব থাকে তাহলে হোয়াইট হোলও থাকা উচিত। এখন আমাদের কাছে কেবল মনে হয় হোয়াইট হোল হলো কেবল মাত্র গাণিতিক সম্ভাবনা। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে যদি “লুপ কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি”- তত্ত্বটি যদি সত্যি হয় তাহলে হোয়াইট হোলের অস্তিত্বও সত্যি হতে পারে- এমনকি আমরা হোয়াইট হোল দেখতেও পারি (সম্ভাবনা আছে)। ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি’র পদার্থবিজ্ঞানী সিন ক্যারল হোয়াইট হোলকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেনঃ ব্লাক হোল হলো এমন একটি জায়গা যেখানে কেউ একবার গেলে আর ফিরে আসতে পারবে না; হোয়াইট হোল হলো এমন একটি জায়গা যেখান থেকে কেউ একবার বের হলে আর সেখানে ফিরে যেতে পারেনা। পক্ষান্তরে এদের গণিতিক এবং জ্যামিতিক ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ একই রকম। এদের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমনঃ সিঙ্গুলারিটি, যেখানে একটি বিন্দুতে প্রচুর ভর একত্রিত হয়, ঘটনা দিগন্ত এবং অদৃশ্য “না ফেরার বিন্দু (point of no return)” যা ১৯১৬ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞান কার্ল সোয়ার্জচাইল্ড সর্বপ্রথম গাণিতিকভাবে ব্যাখ্যা করেন। ব্লাক হোলের ক্ষেত্রে ঘটনা দিগন্ত (Event Horizon) দিয়ে কেবল কোনো কিছু প্রবেশ করে কিন্তু হোয়াইট হোলের ক্ষেত্রে ঘটনা দিগন্ত দিয়ে সবকিছু বের হয়ে যায়। আইন্সটাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বানুসারে, ব্লাক হোলের ঘূর্ণন সিঙ্গুলারিটিকে বলয়ের মতো চর্চিত করে দেয়, এ মত অনুসারে ব্লাক হোলের বলয়ের মধ্য দিয়ে কোনো কিছু চূর্ণিত না হয়ে চলে যেতে পারে। সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সমীকরণ অনুসারে কিছু যদি এরকম একটি ব্লাক হোলে পড়ে তাহলে সে স্থান-কালের একটি পথে প্রবেশ করবে যাকে আমরা ওয়ার্ম হোল বা কীট বিবর হিসেবে চিনি এবং একটি হোয়াইট হোল দিয়ে সে বেরিয়ে যাবে। হোয়াইট হোল ঐ বস্তুর অংশগুলোকে মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিক্ষেপ করবে এমনকি বিভিন্ন সময়েও নিক্ষেপ করতে পারে (যার কারণে কিছু অংশ পাওয়া যেতে পারে এবং কিছু আবার হাওয়া হয়ে যেতে পারে :D ) । তবে এই সম্পর্কে গাণিতিক প্রমাণ থাকলেও এটি বাস্তবিক নয় বলে ধারণা করেন কলরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী এন্ড্রু হ্যামিল্টন। প্রকৃতপক্ষে, হ্যামিল্টন সহ পূর্বের কিছু গবেষণা বলে, কোনো কিছু ঘুর্ণনশীল ব্ল্যাক হোলে পতিত হলে মূলত,ওয়ার্মহোলের সাথে যুক্ত হয়,যা হোয়াইট হোলের সাথে যুক্ত হওয়ার পথ সৃষ্টি প্রতিরোধ করে। কিন্তু বলা হয়ে থাকে, হোয়াইট হোলের শেষপ্রান্তে আলো আছে। ব্লাক হোলের সিঙ্গুলারিটিতে সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব ভেঙে পড়ে যার সাহায্যে হ্যামিল্টন ভবিষ্যদবাণী করেছিলেন। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন সু বলেন, “শক্তির ঘনত্ব এবং বক্রতা সেখানে এত বেশি যে, চিরায়ত গ্র্যাভিটি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না সেখানে কী ঘটছে।” তিনি আরো বলেন, “ হতে পারে গ্র্যাভিটির আরো কোনো নতুন মডেলই পারে এই অস্থায়ী অপারগতা দূর করতে এবং হোয়াইট হোলের ব্যাখ্যা প্রদান করতে।” প্রকৃতপক্ষে, একটি সমন্বিত তত্ত্ব যা গ্র্যাভিটি এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে একিভূত করে, হলো সমসাময়িক পদার্থবিজ্ঞানের এক রকম হলি গ্রেইল (অত্যন্ত রহস্যময়)। এরকম একটি তত্ত্ব, লুপ কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি, ব্যবহার করে ফ্রান্সের এক্সি-মারশেইল বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক হ্যাল হ্যাগার্ড এবং ক্যারল রোভেলি দেখিয়েছেন যে ব্ল্যাক হোল কোয়ান্টাম প্রসেসের মধ্য দিয়ে হোয়াইট হোলে রূপান্তরিত হতে পারে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তারা অনলাইনে তাদের এই তত্ত্ব প্রকাশ করেছে। লুপ কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি বলে স্থান-কাল লুপের মত মৌলিক ব্লক দ্বারা গঠিত। হ্যাগার্ড এবং রভেলি এর মতে লুপগুলোর সসীম আকারের কারণে কোনো মৃত তারকা একটি বিন্দুতে চুপসে পড়ে যেখানে ঘনত্ব থাকে অসীম এবং এই সংকুচিত বস্তুটি হোয়াইট হোলে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াটি ঘটতে সময় লাগে প্রায় এক সেকেন্ডের কয়েক সহস্রাংশ, কিন্তু সংশ্লিষ্ট তীব্র গ্র্যাভিটিকে ধন্যবাদ, আপেক্ষিকতার প্রভাবে এই প্রক্রিয়ার সময়কাল অনেক বেশি মনে হয়, অনেক দূর থেকে কোনো ব্যক্তি যদি এই পরিবর্তন লক্ষ্য করে তাহলে সে দেখবে এতে সময় অনেক বেশি লাগছে। অর্থাৎ, এই শিশু মহাবিশ্বে জন্ম নেওয়া অণুমাত্র ব্লাক হোলগুলো হোয়াইট হোলে পরিণত হতে পারত (নেচার এর রিপোর্ট অনুসারে)। এতদিন পর্যন্ত যতগুলো সুপারনোভা বিস্ফোরণ জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ দেখেছেন তার মধ্যে কতগুলো হতে পারে নব্য শিশু হোয়াইট হোলের কান্না। ব্লাক হোল থেকে হোয়াইট হোলে রূপান্তর ব্ল্যাক হোলের কিছু অন্যতম প্রহেলিকার সামধান দিতে পারে যেমনঃ ব্ল্যাক হোল তথ্যভিত্তিক প্যারাডাক্স। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:কৃষ্ণগহ্বর বিষয়শ্রেণী:উপপ্রমেয়মূলক তারা
শ্বেত বিবর
বিশ্বজনীন অবস্থান-নির্ণায়ক ব্যবস্থা, যাকে মূল ইংরেজিতে Global Positioning System (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ও সংক্ষেপে GPS (জিপিএস) নামে ডাকা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে উদ্ভাবিত একটি প্রযুক্তি। প্রথম দিকে এর প্রয়োগ ছিল পুরোপুরি সামরিক। পরে জনসাধারণের নিমিত্তে এর ব্যবহার উন্মুক্ত করা হয়। এটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেকোন আবহাওয়াতে পৃথিবী যেকোনো চলমান অবস্থান আর সময়ের তথ্য সরবরাহ করাটা এর মূল কাজ। জিপিএস এক ধরনের একমুখী ব্যবস্থা কারণ ব্যবহারকারীগণ উপগ্রহ প্রেরিত সঙ্কেত শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারে। thumb|220px|পৃথিবী ও স্যাটেলাইটের ঘুর্ণায়মান অবস্থায় একটি জিপিএস রিসিভার বা গ্রাহক কিভাবে নিকটস্থ কৃত্রিম উপগ্রহের সাথে যোগাযোগ করে তার দৃশ্য thumb একসময় মানচিত্র, কম্পাস, স্কেল ইত্যাদি দিয়ে মেপে ও অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অবস্থান (Position) নির্ণয় করা হত। বিজ্ঞানের উন্নয়ন ও নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে এখন খুব সহজে ও নিখুঁতভাবে পৃথিবীর কোন স্থানের অবস্থান সম্পর্কে জানতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হয় তার নাম Global Positioning System বা সংক্ষেপে GPS। গাড়ি, জাহাজ, প্লেন, ল্যাপটপ এমনকি নতুন মডেলের মোবাইল ফোনেও এখন GPS রিসিভার থাকে। ইতিহাস মার্কিন সামরিক বাহিনী তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে জিপিএস প্রযুক্তির প্রাথমিক কাজ শুরু করে ১৯৭৭ সালে। এরপর ধাপে ধাপে এর উন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ১৯৯৩ সালে ২৪টি স্যাটেলাইটের সমন্বয়ে সৃষ্ট নেটওয়ার্ককে পৃথিবীর সব জায়গা থেকে ব্যবহারযোগ্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিস্টেম হিসেবে ঘোষণা করে। সেইসাথে সিস্টেমটি বিশ্বের বেসরকারী লোকদের ব্যবহারের জন্যও উম্মুক্ত করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত স্যাটেলাইট ট্রেকিং স্টেশন থেকে US Military স্যাটেলাইটগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করে। সাধারণ ধারণা GPS প্রযুক্তির বেসিক কনসেপ্ট সর্বসাধারণের বুঝার সুবিধার্থে একটি উদাহরণ তুলে ধরলাম: মনে করুন আপনি বাংলাদেশের কোন জায়গায় হারিয়ে গেলেন। আপনি জানেন না জায়গাটির নাম কী, আপনি জানেন না আপনার আশেপাশে কোন শহর বা লোকালয় আছে কিনা! আপনি ঠিক করতে পারছেন না কোনদিকে যাবেন! এসময় (A) নামে একটা লোকের দেখা পেলেন তারও একই অবস্থা, পথ হারিয়ে ফেলেছে। তবে তার কাছে বাংলাদেশের একটা মানচিত্র আছে কিন্তু তা কোন কাজে আসছে না। কারণ আপনারা কোন জায়গায় আছেন তা জানলেই তো মানচিত্র দেখে আশেপাশের শহর কোনটি, কোনদিকে যেতে হবে, কতদূর যেতে হবে ইত্যাদি জানা যাবে। thumb এসময় X, Y, Z নামে তিনজন লোকের দেখা পেলেন। X বললেন আপনারা ঢাকা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে আছেন, কিন্তু ঢাকার কোনদিকে (উ:, দ:, পূ: প: ) আছেন তা বলেনি। (A) তার মানচিত্রে ঢাকাকে কেন্দ্রবিব্দু ধরে ১১০ কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ (মানচিত্রের স্কেলে) ধরে একটি বৃত্ত আকঁল । অর্থাৎ যেসব জায়গার উপর দিয়ে বৃত্তের পরিধিটি গেছে সেসব জায়গার কোন একটিতে আপনারা আছেন। Y বললেন আপনারা রংপুর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে আছেন, কিন্তু কোনদিকে (উ:, দ:, পূ: প: ) আছেন তা বলেনি। (A) তার মানচিত্রে রংপুরকে কেন্দ্রবিব্দু ধরে ১৫০ কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ (মানচিত্রের স্কেলে) ধরে একটি বৃত্ত আকঁল। অর্থাৎ যেসব জায়গার উপর দিয়ে বৃত্তের পরিধিটি গেছে সেসব জায়গার কোন একটিতে আপনারা আছেন। কিন্তু একই সাথে X ও Yএর তথ্যকে সঠিক হিসেবে নিলে আপনাদের অবস্থান গোপালপুর অথবা ময়মনসিংহে। কারণ বৃত্ত দুটি পরস্পরকে এ দুটি জায়গায় ছেদ করেছে। গাণিতিক ও জ্যামিতিক হিসাবে শুধুমাত্র এ দুটি জায়গা থেকেই ঢাকার দুরত্ব ১১০ ও রংপুরের দুরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। Z বললেন আপনারা সিলেট থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে আছেন। (A) তার মানচিত্রে সিলেটকে কেন্দ্রবিব্দু ধরে ১৪০ কিলোমিটারকে ব্যাসার্ধ (মানচিত্রের স্কেলে) ধরে একটি বৃত্ত আকঁল। অর্থাৎ যেসব জায়গার উপর দিয়ে বৃত্তের পরিধিটি গেছে সেসব জায়গার কোন একটিতে আপনারা আছেন। উল্লিখিত নিয়মে আমরা দেখতে পাচ্ছি বৃত্ত তিনটি পরস্পরকে শুধু একটি বিন্দুতে ছেদ করেছে, সেটি হল ময়মনসিংহ! অর্থাৎ তিনটি বৃত্তের Intersection point (ময়মনসিংহ) থেকে X, Y এবং Z তিনজনের তথ্যই সঠিক। এভাবেই আপনারা জানলেন আপনাদের অবস্থান ময়মনসিংহে। এখন আমরা বলতে পারি: X, Y এবং Z নামের তিনটি স্যাটেলাইট থেকে প্রেরিত বিশেষ তথ্য A নামের GPS রিসিভার গ্রহণ করে গাণিতিক ও জ্যামিতিক হিসাবের মাধ্যমে ডিজিটাল মানচিত্রে আপনার বর্তমান অবস্থানটি (Position) উল্লেখ করার যে পদ্ধতি/প্রযুক্তি তার পূর্ণনাম Global Positioning System বা সংক্ষেপে GPS। কৃত্রিম উপগ্রহ thumb GPS সিস্টেমের মূল অংশ হচ্ছে ২৭টি স্যাটেলাইট (24 active, 3 Reserve) ও GPS রিসিভার। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০০০ কিলোমিটার উপরে ৬টি অরবিটে ২৪টি স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারিদিকে ২৪ ঘণ্টায় দুইবার করে ঘুরছে। অরবিটগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে যে কোন সময় কমপক্ষে চারটি স্যাটেলাইট দৃশ্যমান হয়। স্যাটেলাইটগুলো প্রতিনিয়ত দুধরনের সংকেত (signal) প্রেরণ করছে ; L1ও L2। L1 হচ্ছে বেসামরিক লোকের জন্য, যার ফ্রিকোয়েন্সী 1575.42 MHz (UHF band)। এই সংকেতের জন্য প্রয়োজন Line of sight। অর্থাৎ যোগাযোগের সময় স্যাটেলাইট ও রিসিভারের মাঝখানে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারবে না। L1 সংকেতে যেসব তথ্য থাকে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে: "I'm satellite X", My position is Y এবং "This information was sent at time Z". তাছাড়া থাকে almanac data ও ephemeris data। সংকেতগুলো আসে আলোর গতিতে (৩০০,০০০ কিলোমিটার/সেকেন্ড)। প্রতিটি সংকেতে sending time লেখা থাকে। GPS রিসিভার thumb GPS রিসিভার সংকেতটির reciving time থেকে sending time বিয়োগ করে runtime বের করে। runtime দিয়ে ৩০০০০০ কে গুণ করলে রিসিভার থেকে স্যাটেলাইটটির দুরত্ব বের হয়। এভাবে চারটি স্যাটেলাইটের দূরত্ব বের করে রিসিভার প্রতিটি স্যাটেলাইটের পজিশনকে কেন্দ্রবিন্দু করে প্রতিটির দূরত্বকে ব্যাসার্ধ ধরে চারটি ত্রিমাত্রিক বৃত্ত (sphere) অঙ্কন করে। তারপর বৃত্তগুলোর Intersection point দিয়ে 3-D Trilateration ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে পজিশন নির্ণয় করে। ত্রিমাত্রিক পদ্ধতিতে গোলক (sphere) সৃষ্টি করে Trilateration ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে সঠিক ফলাফলের জন্য কমপক্ষে চারটি স্যাটেলাইটের তথ্য প্রয়োজন হয়। অনেকসময় ৪র্থ স্যাটেলাইটের পরিবর্তে পৃথিবীর পরিধিকে ৪র্থ বৃত্ত হিসেবে ধরেও হিসাব করা হয়। GPS সিস্টেমে সময় মাপের ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১ লক্ষ ভাগের ১ সেকেন্ড = ৩ কিলোমিটার। এত ক্ষুদ্র সময় মাপতে পারে ব্যয়বহুল Atomic clock (accuracy ন্যানোসেকেন্ড) যা স্যাটেলাইটের আছে কিন্তু রিসিভারের নাই। রিসিভার স্যাটেলাইট থেকে প্রেরিত pseudo-random code কে synchronize করে নিজের ঘড়িকে আপ-টু-ডেট করে নেয়, অর্থাৎ স্যাটেলাইট ও রিসিভার উভয়ের ঘড়ির কারেন্ট টাইম একই হয়ে যায়। সাধারণ মানের GPS রিসিভার (±10m) সঠিক পজিশন দেখাতে পারে। Global Positioning System এর higher accuracy-র (±1m) জন্য ব্যবহার হয় Differential GPS। এই সিস্টেমে মহাশূন্যের স্যাটেলাইট ছাড়াও ল্যান্ড স্যাটেলাইট থেকেও তথ্য নেওয়া হয়। জিপিএস সফটওয়্যারে (জিপিএস ম্যাপ) রাস্তাঘাট ছাড়াও পেট্রোল পাম্প, পুলিশ স্টেশন, হোটেল/রেস্টুরেন্ট, পর্যটন স্থান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ইত্যাদির তথ্য থাকে। কারেন্ট পজিশনের আশেপাশে উল্লিখিত কোন কিছু থাকলে জিপিএস ডিভাইসের ডিসপ্লেতে তা প্রদর্শন করে। গাড়ি, জাহাজ, প্লেন ছাড়াও বড় বড় শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে, যুদ্ধে শত্রুসেনার ট্রেকিং রাখতে, বোমা-মিসাইলের নিশানাকে সঠিক করতে, কোন বিশেষ স্থানের উপর নজর রাখতে GPS সিস্টেম ব্যবহার হয়। যুক্তরাষ্ট্রের GPS-র বিকল্প হিসেবে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন তৈরি করছে global navigation satellite system (GNSS)। যাকে বলা হয় Galileo। এটি ২০১৩ সাল থেকে চালু করা হবে। GLONASS নামে রাশিয়ার নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম আছে যা মহাশূন্য গবেষণা ও সামরিক কাজে ব্যবহার হয়। চীনও Beidou-2 নামে তাদের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম তৈরির প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবস্থা সমূহ নাবিক (ভারতীয় আঞ্চলিক নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম) - বর্তমানে শুধু সামরিক কাজে ব্যবহৃত হয়। ২০২০ তে জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য হবে। গ্লোনাস (গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম) বেইডউ (BeiDou নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম) - ২০১৮ তে জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য হয়েছে । গ্যালিলিও (গ্যালিলিও নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম) তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিশ্বজনীন অবস্থান-নির্ণায়ক ব্যবস্থা
মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার। ইনি বহু বাংলা আধুনিক গান এবং নজরুলগীতি গেয়েছেন। এটা বিবেচনা করা হয় যে বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে বাংলা গান চমৎকারিত্বের উচ্চতম পর্যায়ে পৌঁছে এবং সে-কারণে সেই সময়কালকে "বাংলা আধুনিক গানের স্বর্ণযুগ বলা হয়"। ১৯৫০-এর দশকেই মানবেন্দ্র বাংলা গানের মর্যাদাকে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের উচ্চতায় তুলে দেন। তার স্বতন্ত্র কণ্ঠের কারণে দর্শকদের কাছে তিনি হিট ছিলেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ http://www.citwf.com/person19423 বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় গীতিকার বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কণ্ঠশিল্পী বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সংগীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় পুরুষ সুরকার
মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
thumb|300px|এমআইটি এক্স সংঘের ডিস্ট্রিবিউশনের পরিচিত twm ইউন্ডো ম্যানেজেরের অধীনে চলা গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেইস এবং অ্যাপলিকেশনগুলোর একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ: এক্স টার্মিনাল, Xbiff, xload এবং একটি গ্রাফিকাল নির্দেশিকা পাতা ব্রাউজার এক্স উইন্ডো সিস্টেম (সাধারনত এক্স১১ নামে পরিচিত, তাদের বর্তমার ভার্শন নম্বরের প্রধান অংশ ১১ এর উপর ভিত্তি করে, অথবা সংক্ষিপ্ত আকারে এক্স) একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবস্থা এবং নেটওয়ার্ক প্রটোকল যা সংযুক্ত কম্পিউটারসমূহের (networked computers) জন্য গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেইস (GUI) এবং সম্বৃদ্ধ ইনপুট ডিভাইস চালনার ভিত্তি তৈরি করে। এটি একটি হার্ডওয়ার অ্যাব্সট্রাকশন লেয়ার তৈরি করে যেখানে একটি সার্বজনীন কমান্ডগুচ্ছের সাহায্যে সফটওয়্যার লেখা হয়, যার ফলে প্রোগ্রামগুলো ডিভাইস স্বাধীনতা পায় এবং এক্স বাস্তবায়নকৃত যেকোনো কম্পিউটারে পুনঃব্যবহৃত হতে পারে। এক্স-এর উৎপত্তি ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এম,আই,টি) থেকে ১৯৮৪ সালে। প্রটোকলের ভার্শনটি সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ থেকে এক্স১১ স্থির রয়েছে। এক্স.অর্গ ফাউন্ডেশনটি এই এক্স প্রজেক্টটি পরিচালনা করে, যার বর্তমান রেফারেন্স বাস্তবায়ন, এক্স.অর্গ সার্ভার, ফ্রি এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হিসেবে এম,আই,টি লাইসেন্স এবং সমগোত্রীয় অনুমতিদায়ক লাইসেন্সের অধীনে পাওয়া যায়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:সিস্টেম সফটওয়্যার
এক্স উইন্ডো সিস্টেম
উইলিয়াম শ্যাটনার (জন্ম মার্চ ২২, ১৯৩১ মন্ট্রিয়ল, কুইবেক, কানাডা) একজন কানাডীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা। তিনি স্টার ট্রেক সিরিজের ক্যাপ্টেন জেমস টি কার্ক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত। এছাড়া তিনি টি জে হুকার, বস্টন লিগ্যাল ইত্যাদি টিভি সিরিজেও অভিনয় করেছেন। শ্যাটনার ইহুদী ধর্মাবলম্বী এবং জাতিগত ভাবে ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত। right|thumb|স্টার ট্রেক ভক্তদের সম্মেলনে উইলিয়াম শ্যাটনার তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৩১-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:মার্কিন অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:কানাডীয় অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর কানাডীয় অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর কানাডীয় অভিনেতা
উইলিয়াম শ্যাটনার
ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের কারণ ও ফলাফল ইতিহাসে মোটামুটি ১৭৬০-১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ এই সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে গতি শুরু হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখা না গড়ে উঠে। আবিষ্কারক শিল্পবিপ্লব কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন অগাস্ত ব্লাংকি ১৮৩৮ সালে। পরবর্তীকালে জন স্টুয়ার্ট মিল ও কাল মার্কস শিল্প বিপ্লব কথার প্রয়োগ করেন। বিভিন্ন দেশের শিল্প বিপ্লব। শিল্প বিপ্লব (১৭৬০ থেকে ১৮৪০) - ইংল্যান্ড আমেরিকান বিপ্লব (১৭৭৬) - যুক্তরাষ্ট্র ইসলামিক/ইরানি বিপ্লব (১৯৭৯) - ইরান ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯) - ফ্রান্স বলশেভিক/অক্টোবর/রুশ বিপ্লব (১৯১৭) - রাশিয়া জার্মান বিপ্লব (১৯১৮) - জার্মানি হাঙ্গেরিয়ান বিপ্লব (১৯১৯) - হাঙ্গেরি আগস্ট বিপ্লব (১৯৪৫) - ভিয়েতনাম চিন বিপ্লব (১৯৪৯) - চিন কিউবান বিপ্লব (১৯৫৯) - কিউবা ভেলভেট বিপ্লব (১৯৮৯) - চেকোস্লোভাকিয়া বলিভারিয়ান বিপ্লব (১৯৯৮) - ভেনিজুয়েলা রোজ বিপ্লব (২০০৩) - জর্জিয়া অরেঞ্জ বিপ্লব (২০০৪) - ইউক্রেন টিউলিপ বিপ্লব (২০০৫) - কিরঘিজস্তান ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব মূলকারণ: (১) ইংল্যান্ডের প্রাকৃতিক পরিবেশ, (২) সুলভ শ্রমিক, (৩) অফুরন্ত মূলধন, (৪) উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, (৫) বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির আবিষ্কার, (৬) উপনিবেশিক সাম্রাজ্যের প্রসার ইত্যাদি। শিল্প বিপ্লবের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Industrial Revolution. এই শব্দটি সর্ব প্রথম ব্যবহার করেন ইংরেজ ঐতিহাসিক Arnold Tynbee. ১৮৮০ সালে তিনি তাঁর লেখা "Lectures on the Industrial Revolution in England" গ্রন্থে এটা ব্যবহার করেন। ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব সংগঠিত হওয়ার নানারকম কারণের মধ্যে একটি বড় কারণ ছিল পুঁজির জোগান। এই পুঁজির অনেকটাই এসেছিল ঔপনিবেশিক ব্যাবসাবাণিজ্য থেকে। ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের ফলে দুটি সমস্যা দেখা দেয়। কাঁচামালের অভাব এবং উদ্বৃত্ত দ্রব্যসামগ্রী বিক্রয়ের জন্যে বাজার। এই দুটি সমস্যা সমাধানের একটি উপায় হল উপনিবেশ স্থাপন। খনিজ ও বাণিজ্যিক কৃষিতে সমৃদ্ধ উপনিবেশ থেকে একদিকে যেমন কাঁচামাল সংগ্রহ করা সম্ভব, তেমনই অন্যদিকে সেখানেই উদ্বৃত্ত দ্রব্যসামগ্রীর বিক্রয়েরও সুযোগ ছিল। একাজ অবশ্যই সহজসাধ্য ছিলনা। উপনিবেশগুলির পক্ষে এই ব্যবস্থা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিলনা। ইংল্যান্ড আমেরিকায় তার এই নীতি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৭৮৩ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকা স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। কিন্তু ভারতসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ইংরেজরা বাহুবলে তাদের উপনিবেশ ও সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল। সাধারণভাবে উপনিবেশবাদ বলতে বোঝায় এমন এক ব্যবস্থা যাতে মাতৃভূমির স্বার্থে বাহুবলে অধিকৃত এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলিকে শোষণ করা হয়। ঔপনিবেশিক অর্থনীতিতে স্থানীয় শিল্পের যাতে কোনো বিকাশ না-হয়, অথবা যেখানে উন্নত হস্ত বা কুটির শিল্প আছে, তার যাতে পতন বা ধবংস অনিবার্য হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা হয়। অর্থাৎ, উপনিবেশগুলির স্বাধীনভাবে অর্থনীতি নির্ধারণ করবার কোন সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকে না। ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্প বিপ্লব হওয়ায় উপনিবেশ স্থাপনে ইংল্যান্ড ছিল সবচেয়ে অগ্রণী। তার সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বজুড়ে। কথাই ছিল, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্য অস্ত যায়না। তারপরেই ছিল ফ্রান্সের স্থান, যদিও ফ্রান্সে শিল্প বিপ্লব হয়েছিল বেশ কিছুটা দেরিতে। জার্মানি, রাশিয়া ও ইতালিতে আরও পরে শিল্প বিপ্লব হয়েছিল বলে উপনিবেশ স্থাপনের প্রতিযোগিতায় তারা অনেক পিছিয়ে ছিল। যাই হোক, উনিশ শতকের শেষ পর্বে আফ্রিকার প্রায় সর্বত্র এবং এশিয়ার এক বৃহৎ অংশ জুড়ে উপনিবেশ স্থাপিত হয়েছিল। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:আধুনিক ইতিহাস বিষয়শ্রেণী:বিপ্লব বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের অর্থনীতি বিষয়শ্রেণী:শিল্পের ইতিহাস
শিল্প বিপ্লব
মিশেল ফুকো (; ১৫ অক্টোবর ১৯২৬ – ২৫ জুন ১৯৮৪) ছিলেন একজন ফরাসি দার্শনিক। তিনি একসময় কলেজ দ্য ফ্রান্সের নিয়মতান্ত্রিক ধারণার ইতিহাস বিভাগের প্রধান ছিলেন। বিভাগের নামকরণ তিনিই করেন। সমাজ ও মানবিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলিত এবং পেশাদারি ক্ষেত্রে ফুকোর প্রভাব বিস্তৃত। ফুকো বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান যেমন শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসাশাস্ত্র, কারাগার পদ্ধতির পর্যালোচনার জন্য বিখ্যাত। যৌনতার ইতিহাসের ওপরও তিনি বেশ কিছু প্রভাবশালী লেখা প্রকাশ করেন। তার জ্ঞান ও ক্ষমতা বিষয়ক লেখালিখির ওপর ভিত্তি করে অনেক গবেষক ও চিন্তাবিদ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন। পাশ্চাত্য ধারণার ইতিহাস এসব লেখার কেন্দ্রবিন্দু। এবং সর্বোপরি ফুকোর ডিসকোর্স (আলাপ, বক্তৃতা, কথোপকথন, সন্দর্ভ, বহস, জবানি, দুটো নীরবতার মাঝখানে কোনকিছু) সংক্রান্ত কাজের অবদান উল্লেখযোগ্য। জীবনী প্রাথমিক জীবন মিশেল ফুকো ১৯২৬ সালের অক্টোবর ১৫ তারিখে ফ্রান্সের Poitiers নামক স্থানের এক সম্ভ্রান্ত প্রাদেশিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় তার নাম ছিল পল-মিশেল ফুকো। বাবার নাম পল ফুকো যিনি ফ্রান্সের বিশিষ্ট সার্জন ছিলেন। তার বাবার ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা শেষে ফুকো বাবার পেশাকেই বেছে নেবেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা খুবই স্বাভাবিক গতিতে এগিয়েছে। খুব একটা ভাল বা খারাপ করেননি কখনও। কিন্তু জেসুইট কলেজ সেন্ট-স্টানিসলাসে ভর্তির পর তিনি পড়াশোনায় বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন। সে সময় Poitiers অঞ্চলটি Vichy France-এর অন্তর্ভুকত ছিল। পরবর্তিতে তা জার্মানির অন্তর্ভুক্ত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ফুকো École Normale Supérieure-তে প্রবেশের সুযোগ পান। এই প্রতিষ্ঠানটি ছিল ফ্রান্সের মানবিক বিভাগের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। École Normale Supérieure École Normale Supérieure-এ থাকার সময়টি ফুকোর জন্য ছিল বেশ কষ্টকর। কারণ এ সময়ে তিনি প্রচণ্ড হতাশা ও অবসাদগ্রস্ততায় ভুগছিলেন যা একসময় রোগের আকার ধারণ করে। এ জন্যে মনোচিকিৎসকের কাছেও গিয়েছিলেন। সম্ভবত তখন থেকেই তিনি মনোবিজ্ঞানে বিশেষ আগ্রহী হয়ে উঠেন। মনোচিকিৎসকের সেবা তার মনোবিজ্ঞানপ্রীতির একটি কারণ হিসেবে উল্লেখিত হয়ে আসছে। তিনি মূলত দর্শনের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও মনোবিজ্ঞানে একটি ডিগ্রী লাভে সমর্থ হন। তখনকার সময় ফ্রান্সে এ ধরনের ডিগ্রীর উদাহরণ ছিল বিরল। তিনি মনোবিজ্ঞানের ক্লিনিক্যাল আর্মের সাথে কাজ করতে থাকেন। এ সূত্রেই তার সাথে Ludwig Binswanger-এর মত বিখ্যাত চিন্তাবিদের পরিচয় হয়। ১৯৫০ সালে ফুকো ফরাসি সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দেন। তখনকার সময়ে অধিকাংশ নরমালিয়েনরাই (École Normale Supérieure-এর সদস্যদের এ নামে ডাকা হয়) এ দলে যোগ দিতেন। তাকে এই দলে যোগ দিতে উৎসাহিত করছিলেন তার অন্যতম শিক্ষক ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষক Louis Althusser। কিন্তু বেশিদিন রাজনীতি করার কোন আগ্রহ পাননি ফুকো। ১৯৫৩ সালেই দল থেকে সরে আসেন। এই সরে আসার পিছনে অন্যতম কারণ ছিল স্টালিনের অধীনে রাশিয়ায় সংঘটিত কিছু অপকর্ম যা ফুকোর মনে বিশেষ রেখাপাত করে। ঐতিহাসিক Emmanuel Le Roy Ladurie এবং আরও অনেকেই বলেছেন ফুকো কখনই তার অন্যান্য সহকর্মীদের মত সক্রিয়ভাবে দলের কাজ করেননি। কর্মজীবনের প্রথমভাগ ফুকো ১৯৫০ সালে তার agrégation সম্পন্ন করেন। École Normale-তে কিছু সময়ের জন্য কাজ করার পর তিনি লিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পদ পেয়ে যান। এখানে ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত দর্শনের প্রভাষকের পদে চাকরি করেন। ১৯৫৪ সালে তার প্রথম বই প্রকাশিত হয় যার নাম ছিল Maladie mentale et personnalité। পরবর্তিতে তিনি এই বইটি লিখেননি বলে দাবী করেছিলেন। ফুকো তখন বেশ বুঝতে পারছিলেন যে, শিক্ষকতা তার দ্বারা হবেনা। এই চিন্তা থেকেই ফ্রান্স থেকে দীর্ঘকালের জন্য স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। ১৯৫৪ সালে তিনি সুইডেনের উপশালা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রান্সের একজন সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার জন্য এই কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তার অন্যতম বন্ধু ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষক Georges Dumézil। ১৯৫৮ সালে উপশালা ছেড়ে কিছু সময়ের জন্য তিনি পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। ১৯৬০ সালে তিনি আবার ফ্রান্সে ফিরে আসেন। উদ্দেশ্য ছিল ডক্টরেট সম্পন্ন করা। এখানকার Clermont-Ferrand-এর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের একটি পদে চাকরি নেন। এই শিক্ষায়তনেই তার সাথে Daniel Defert-এর পরিচয় হয় যার সাথে তিনি জীবনের বাকি সময়টা কাটিয়েছেন। তাদের পারিবারিক সম্পর্কটি ছিল non-monogamous। ফ্রান্সের প্রথামত তিনি দর্শনের উপর দুইটি পৃথক অভিসন্দর্ভ জমা দিয়ে ১৯৬১ সালে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। তার প্রধান অভিসন্দর্ভের নাম Folie et déraison: Histoire de la folie à l'âge classique এবং অন্য অভিসন্দর্ভটির নাম ছিল "অ্যানথ্রোপলজি ফ্রম অ্যা প্র্যাগমেটিক পয়েন্ট অফ ভিউ"। শেষোক্ত অভিসন্দর্ভটি ছিল মূলত দার্শনিক ইমানুয়েল কান্টের রচনাসমূহের উপর একটি বিশ্লেষণী ভাষ্য ও কিছু অনুবাদ। Folie et déraison নামক মূল অভিসন্দর্ভটি সুশীল সমাজে বিশেষ গুরুত্বের সাথে গৃহীত হয়। এটি "ম্যাডনেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশন" নামে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছিল। এর পর ফুকোর প্রকাশনা সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয় Naissance de la Clinique (ক্লিনিকে জন্ম) এবং Raymond Roussel নামক দুইটি রচনা। একই সাথে ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত তার বই Maladie mentale et psychologie-এর আরেকটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য এবারও তিনি এই বই রচনার দায় অস্বীকার করেন। ফুকোর সহধর্মিনী Defert তার সামরিক কাজের সুবাদে তিউনিসিয়ায় বদলি হয়ে যাওয়ায় ফুকোও সেখানে চলে যান। ১৯৬৫ সালে তিউনিস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৬৬ সালে প্রকাশ করেন Les Mots et les choses (বস্তুসমূহের ক্রম) নামক একটি সুদীর্ঘ ও জটিল গ্রন্থ। জটিল ও দীর্ঘ হওয়া সত্ত্বেও পুস্তকটি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই বই যখন প্রকাশিত হয় তখন পশ্চিমা দর্শনের জগতে structuralism বিষয়ক গবেষণা ও চিন্তাধারা জোয়ার বইছিল। ফুকোও এ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন। জঁ-পল সার্ত্র্‌ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত অস্তিত্ববাদকে অস্বীকার করেই এই দার্শনিক জোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিল। নবীন এই দার্শনিক চিন্তার অনুসারী ছিলেন Jacques Lacan, Claude Lévi-Strauss এবং Roland Barthes-এর মত দার্শনিকেরা। ফুকো এদের সাথে জোট গড়ে তুলেন। ফুকো মার্ক্সবাদ সম্বন্ধে বেশ কিছু সংশয়বাদী মন্তব্য করেছিলেন যা বামপন্থী চিন্তাবিদদের দ্বারা সমালোচিত হয়। কিন্তু তিনি অচিরেই এ ধরনের সংশয়বাদী সমালোচনা পরিত্যাগ করে বিশুদ্ধ structuralist হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৮ সালের মে মাসে তিউনিসিয়ায় যখন ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তখনও তিনি তিউনিসে ছিলেন। এই বছরেরই প্রথম দিকে তিনি তিউনিসের স্থানীয় এক বিদ্রোহী ছাত্রের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। একই বছরের বসন্তে তিনি ফ্রান্সে ফিরে যান। ফেরার পরপরই ১৯৬৯ প্রকাশ করেন L'archéologie du savoir (জ্ঞানের প্রত্নতত্ত্ব) নামক রচনাটি। এই রচনাটি ছিল তার সমালোচনার জবাব। রচনাসমূহ পাদটীকা বহিঃসংযোগ সাধারণ সাইট (নিয়মিত হালনাগাদকৃত): Foucault.info – repository of texts, news. Michel Foucault Archives by IMEC Clare O'Farrell. michel-foucault.com জীবনী: Retrospective article – written by Michel Foucault গ্রন্থতালিকা: French and English bibliographies জার্নাল: Foucault Studies – an electronic, refereed, international journal Materiali Foucaultiani – an electronic, refereed, international journal in English, French and Italian. বিষয়শ্রেণী:ফরাসি দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:১৯২৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৪-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:সামাজিক সমালোচক বিষয়শ্রেণী:সামাজিক দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:সামাজিক ভাষ্যকার বিষয়শ্রেণী:প্রযুক্তির দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:বিজ্ঞানের দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃতির দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:মহাদেশীয় দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:নাস্তিক দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:সাবেক রোমান ক্যাথলিক
মিশেল ফুকো
চিনি গাছ স্টেভিয়া (Stevia) গাছটির সহজ বাংলা নাম। এই গাছ প্যারাগুয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে পাওয়া যায়। এটি লতা গুল্ম জাতীয় গাছ। এর পাতা খুবই মিষ্টি যা চিনির চেয়ে ৫০ গুন বেশি মিষ্টি বলে দাবি করা হয়। এর শুকনো পাতা গুড়া করে ব্যবহার হয়। এর নির্যাস চিনি থেকে ২০০-৩০০ গুন বেশি মিষ্টি। এটি ডায়াবেটিস এর কোন ক্ষতি করেনা বরং কমাতে সাহায্য করে। জাপান সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারি তারা তাদের মোট চিনি চাহিদার ৪০% এই স্টেভিয়া বা চিনি গাছ থেকে সংগ্রহ করে। বাংলাদেশে ব্রাক এটি উৎপাদন ও বিক্রয় করছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গুল্ম
চিনি গাছ
নীতিশাস্ত্রের অর্থ নীতিশাস্ত্র দর্শনের এমন একটি শৃঙ্খলা যা মানুষের আচরণ এবং ভাল-মন্দ, নৈতিক প্রজ্ঞা, কর্তব্য, সুখ এবং সাধারণ কল্যাণের ধারণার সাথে এর সম্পর্ককে অধ্যয়ন করে।নীতিশাস্ত্র শব্দটি এসেছে লাতিন ভাষায় ethĭcu যার সন্তুষ্ট: এথিক্স কি: নৈতিক ও নৈতিকতা নীতিশাস্ত্রের প্রকার নীতিশাস্ত্রের উত্স নৈতিকতার ইতিহাস নিকোমাচিয়ান নীতিশাস্ত্র এথিক্স কি: নীতিশাস্ত্র দর্শনের এমন একটি শৃঙ্খলা যা মানুষের আচরণ এবং ভাল-মন্দ, নৈতিক প্রজ্ঞা, কর্তব্য, সুখ এবং সাধারণ কল্যাণের ধারণার সাথে এর সম্পর্ককে অধ্যয়ন করে। নীতিশাস্ত্র শব্দটি এসেছে লাতিন ভাষায় ethĭcusযার ফলস্বরূপ প্রাচীন গ্রীক থেকে এসেছে ἠθικός (নীতিশাস্ত্র), থেকে প্রাপ্ত ইত্যাদিযার অর্থ 'চরিত্র' বা 'চরিত্রের অন্তর্গত'। দ্য নৈতিকতার ভূমিকা একটি শৃঙ্খলা হিসাবে এটি নৈতিকতা, কর্তব্য এবং পুণ্যের নিয়মগুলি বিশ্লেষণ করা যা স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আচরণকে নির্দেশ করে। এর কার্য সম্পাদন করতে, নীতিশাস্ত্র বিশেষায়িত শাখাগুলির একটি সেটে বিভক্ত হয়। মধ্যে নীতিশাস্ত্রের শাখা নিম্নলিখিত স্বীকৃত: মেটাটিক্স: নৈতিক তত্ত্বগুলি নিজেরাই অধ্যয়ন করুন এবং নৈতিক শব্দের সাথে যুক্ত অর্থগুলি বিশ্লেষণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, লোকেরা যখন ভাল, সুখ বা পছন্দসই বিষয়ে কথা বলে তখন কী বোঝায়। আদর্শিক নীতিশাস্ত্র বা ড্যান্টোলজি: সাধারণ আগ্রহের ক্ষেত্রে মানদণ্ড এবং শুল্কের ব্যবস্থাগুলি পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রতিষ্ঠা করে। উদাহরণস্বরূপ, কল শ্রেষ্ঠ নিয়ম (অন্যের সাথে আমাদের যেমন আচরণ করা উচিত তেমন আচরণ করুন)। প্রয়োগ নৈতিকতা: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে নৈতিক ও নৈতিক মান প্রয়োগের বিশ্লেষণ করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন বায়োথিক্স, পরিবেশগত নীতিশাস্ত্র, যোগাযোগের নৈতিকতা ইত্যাদি নীতিশাস্ত্র নৈতিকতার সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তবে এটি এর থেকে পৃথক। যদিও নৈতিকতা traditionতিহ্য দ্বারা গৃহীত নিয়মকে বোঝায়, নৈতিকতা এমন একটি শৃঙ্খলা যা কোন ক্রিয়াগুলি সঠিক হবে তা প্রতিফলিত করে। Herbeauty Costume That Makes Actresses Beneath Practically Unrecognizable Learn more→ এই কারণেই, সাধারণ ভাষায়, নীতিশাস্ত্রগুলি এমন মান সিস্টেম হিসাবেও বোঝা যায় যা ভাল আচরণের দিকে মানুষের আচরণকে গাইড করে এবং নির্দেশ দেয়। নৈতিক ও নৈতিকতা নৈতিকতা নৈতিকতার থেকে পৃথক। যদিও নৈতিকতা রীতিনীতি থেকে উদ্ভূত নিয়মগুলির সাথে সম্মতি রক্ষা করে, নীতিশাস্ত্র সেই নীতিগুলি রক্ষা করে যা আচরণকে নির্দেশ দেয়, এমনকি যদি তারা traditionতিহ্যকে চ্যালেঞ্জ করেও। দর্শনে, নীতিশাস্ত্র নৈতিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে মানুষের ক্রিয়া এবং নিয়মগুলি বিশ্লেষণ করে, যেহেতু এটি নীতিগুলি নির্ধারণ করে না। নীতিশাস্ত্র কেবল পেশাদারদের তাদের কাজকর্মের অনুশীলনে সুস্পষ্ট মানকে সংজ্ঞায়িত করে, যাতে ব্যক্তিগত নৈতিকতা পেশাগত দায়িত্বের সাথে দ্বন্দ্ব হয় যখন তারা সঠিকভাবে কাজ করে তা নিশ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ধরুন যে কোনও ডাক্তার একটি জরুরি রোগী হিসাবে পুলিশ দ্বারা আহত একজন খুনিকে গ্রহণ করেছে। তার নৈতিক মূল্যবোধগুলি তাকে "রোগী" থেকে অস্বীকার করতে বাধ্য করে এবং মনে করে যে এতটা নিরীহ মানুষকে হত্যা করার সময় সে বেঁচে থাকা অন্যায় কাজ করে। তবে, তার পেশার নৈতিক কোড তাকে তার জীবন বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য করতে বাধ্য করে। আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে মরতে দেন তবে ডাক্তার তার পেশাদার লাইসেন্সটি হারাতে পারেন। পেশাদার কর্তব্য সম্পাদন ব্যক্তির নৈতিকতার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। Herbeauty He Is Totally In Love With You If He Does These 7 Things Learn more→ আরো দেখুন নৈতিক। নৈতিক ও নৈতিকতা। নীতিশাস্ত্রের প্রকার যদিও ধরণের ধরণের নীতিগত পদ্ধতিতে কোনও শ্রেণিবদ্ধকরণ নেই, তবে আমরা তাদের প্রয়োগের ক্ষেত্রগুলি অনুযায়ী তাদের নির্ধারণ করতে পারি। পেশাগত নৈতিকতা: এটি আদর্শিক বিজ্ঞান যা মূল্যবোধ, নীতি, কর্তব্য এবং অধিকারগুলি অধ্যয়ন করে যা প্রতিটি পেশাকে দায়িত্বের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত করে। পেশাদার নীতিশাস্ত্র পেশাদার নীতিশাস্ত্র বা ডিওন্টোলজিকাল কোডে নির্দিষ্ট করা হয়। পেশাদার নীতিশাস্ত্রের কয়েকটি উদাহরণ হ'ল: ডাক্তারী নীতিজ্ঞান: স্বাস্থ্যগত পেশাদারকে সঠিক কাজের দিকে পরিচালিত করে এমন মানগুলিকে বোঝায় যা ঝুঁকি এবং সামাজিক উদ্বেগকে বিবেচনা করে। একটি উদাহরণ হিপোক্রেটিক ওথ। আইনী নৈতিকতা: আইনের চর্চা নিয়ন্ত্রণ করে এমন সমস্ত মান এবং নীতিগুলি অধ্যয়ন করে। নীতিশাস্ত্র শিক্ষা: বিজ্ঞান যা তাদের পেশার অনুশীলনে শিক্ষকদের কর্তব্য ও অধিকার পরিচালিত মান এবং নীতিগুলি অধ্যয়ন করে। বৈজ্ঞানিক নৈতিকতা: মান ব্যবস্থা যা তার সমস্ত পর্যায়ে বৈজ্ঞানিক অনুশীলনের (গবেষণা ও প্রয়োগ) নির্দেশনা দেয়, বিশেষত সততা, অখণ্ডতা এবং সামাজিক ও পরিবেশগত দায়িত্বের নীতিগুলির প্রতি আবেদন করে। সামরিক নৈতিকতা: সামরিক পদক্ষেপের সীমা এবং সুযোগকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে এটি নাগরিক এবং সরকারী আদেশের সাথে সম্মতিতে সামরিক বাহিনীর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যবসায়ের নীতি: এগুলি হ'ল নীতি ও মান যা কোনও সংস্থার ক্রিয়া ও ক্রিয়াকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। উদাহরণস্বরূপ, অন্যায্য প্রতিযোগিতা এড়ানো, পরিবেশ রক্ষা করা, মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করা, স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশের প্রচার করা এবং বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন এড়ানো। Herbeauty The Most Heartwarming Moments Between Father And Daughter Learn more→ ধর্মনিরপেক্ষ নৈতিকতা বা ধর্মনিরপেক্ষ নীতি: সহানুভূতি, যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা এবং যুক্তির মতো বৌদ্ধিক গুণের উপর ভিত্তি করে মানবিক আচরণকে নির্দেশিত এমন মান ও নীতিগুলির সেট of ধর্মীয় নৈতিকতা: যে নীতিগুলি মানবিক আচরণকে আধ্যাত্মিক গুণাবলী এবং ট্রান্সেন্ডেন্টাল ধারণার উপর ভিত্তি করে অর্ডার করে যেমন সর্বোচ্চ ভাল, সত্য, আত্মা, ন্যায়বিচার, আদিম আদেশ, প্রেম ইত্যাদি, এটি এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মের মধ্যে পৃথক। পরিবেশগত নৈতিকতা বা পরিবেশগত নীতি: এটি প্রয়োগকৃত নীতিশাস্ত্রের একটি অংশ যা সাধারণ ভালোর সুযোগ নিয়ে পরিবেশের যত্ন নেওয়া বিবেচনা করে। এটি বাস্তুশাস্ত্র, অর্থনীতি, আইন ইত্যাদির মতো বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তরকারী is আরো দেখুন: নীতিশাস্ত্রের প্রকার। পেশাগত নৈতিকতা. দৈনন্দিন জীবনে নৈতিকতার 7 টি উদাহরণ। নীতিশাস্ত্রের উত্স নীতিশাস্ত্রের পূর্বসূরীরা প্রাচীন গ্রিসে ফিরে যায়। সক্রেটিসকে নীতিশাস্ত্রের জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেহেতু তাঁর সমস্ত চিন্তাভাবনা গুডের ধারণাকে ঘিরে। প্লেটো তার কাজের একটি ভাল অংশ ভাল, সত্য এবং প্রজাতন্ত্রের মধ্যে তাঁর ভূমিকার জন্য উত্সর্গ করেছিলেন। তবুও অ্যারিস্টটল নৈতিকতার যথাযথ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। একটি শৃঙ্খলা হিসাবে নীতি তার কাজ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে নিকামাকোর জন্য নীতিশাস্ত্র, যেখানে লেখক প্রথমবারের জন্য সামাজিক এবং স্বতন্ত্র নৈতিকতার সম্পর্কের ব্যবস্থা করেন; মানদণ্ড এবং পণ্য এবং তত্ত্ব এবং অনুশীলন। তেমনি, এটি গুণাবলীকে বৌদ্ধিক এবং নৈতিক হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করে। সুতরাং, নীতিশাসন হাম্মুরাবির বিধি বা মোশির দশ আজ্ঞার মতো নীতিগুলির উত্তরোত্তর। নীতিশাস্ত্রের অনুশাসনটি অবিকলভাবে উদ্ভূত হয়েছিল মানুষের আচরণ, নৈতিক বিধি ব্যবস্থা এবং তাদেরকে নির্দেশ দেয় এমন উত্তম ধারণাটির মধ্যে সম্পর্কের প্রতিফলনের জন্য। নৈতিকতার ইতিহাস প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল আজ অবধি দুটি নৈতিক স্রোত স্থাপন করেছিলেন। প্লেটোর পক্ষে শুভ ও সত্য একটি চূড়ান্ত পরিণতি এবং সার্থকতার সন্ধান আত্মার অন্তর্নিহিত। অ্যারিস্টটলের কাছে নীতিশাস্ত্র হ'ল উদ্দেশ্য এবং সুখ অর্জনের উপায় এবং সেই পরিমাণে এটি আত্মার নয়, এটি একটি যৌক্তিক অপারেশন। অ্যারিস্টটলের পরে স্রোতগুলি নীতিশাস্ত্রের ধারণাটিকে একটি মাঝারি প্রাধান্য হিসাবে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরে, নিওপ্লাটোনিজম একটি উদ্দেশ্য হিসাবে সর্বোচ্চ গুডের ধারণাটি পুনরুদ্ধার করে। মধ্যযুগের প্রথমদিকে খ্রিস্টান দর্শন নব্যপ্ল্যাটিজমের প্রভাবে চিরন্তন ভালোর দিক দিয়ে পার্থিব সুখ স্থগিতকরণকে ন্যায্য করে তুলেছিল। বিপরীতে, ত্রয়োদশ শতাব্দীর দিকে, শিক্ষাগত দর্শন (সেন্ট টমাস অ্যাকুইনাস দ্বারা উপস্থাপিত) সুখের সন্ধানের সাথে পুণ্যের সন্ধানকে একীভূত করেছিল। অন্যদিকে, রেনেসাঁ এরিস্টোটালিয়ান স্রোতের কাছে ফিরে এসেছিল। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে, রাষ্ট্রের শক্তিশালীকরণ নৈতিকতার সাথে এর যোগসূত্রগুলি নিয়ে আলোচনাকে উত্সাহিত করেছিল, যেমন লেখক হবস এবং হ্যাচসনের ক্ষেত্রে। আধুনিকতায় নীতিশাস্ত্র নৈতিকতার উত্স, সমাজের ভূমিকা, ধর্মীয় গোড়ামীবাদ এবং স্বাধীনতা এবং নির্ধারণবাদের মধ্যে বৈপরীত্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। হেগেল এই রাজ্যটিকে মানুষের আচরণের শেষ হিসাবে এবং আইনের দর্শনের সাথে সম্পর্কিত নৈতিকতা দেখেছিলেন saw জার্মান আদর্শবাদের জনক কান্ত নীতিশাসনের স্বায়ত্তশাসনকে রক্ষা করেছিলেন। 19 এবং 20 শতকের মধ্যে, ইউটিরিটিভিজম, মনোবিজ্ঞান, নৈতিক বিবর্তনবাদ এবং অন্যান্য স্রোতের বিকাশ traditionalতিহ্যগত নৈতিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। বিংশ শতাব্দীতে, নীতিশাস্ত্র তার সারমর্ম, এর উত্স, উদ্দেশ্য এবং ভাষা নিয়ে অধ্যয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। নিকোমাচিয়ান নীতিশাস্ত্র নিকোমাচিয়ান নীতিশাস্ত্র কাজের উল্লেখ করে নিকামাকোর জন্য নীতিশাস্ত্র, দার্শনিক এরিস্টটল দ্বারা রচিত। এটি নৈতিকতা সম্পর্কে তাঁর মূল কাজ; এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এটি এই বিষয়ে প্রথম পদ্ধতিগত গ্রন্থ। তাঁর নিকোমাচিয়ান নীতিশাস্ত্রে এরিস্টটল ব্যক্তি এবং সম্মিলিত সুখকে সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসাবে চিহ্নিত করে। এটি অর্জনের জন্য, তিনি আবেগের reasonর্ধ্বে যুক্তি, গুণ এবং বিচক্ষণতা রাখেন, যেহেতু তাঁর জন্য মানুষ সমাজে বাস করে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই একটি সাধারণ ভালোর দিকে পরিচালিত করতে হবে। অ্যারিস্টটলের জন্য, সমস্ত ব্যবহারিক যৌক্তিকতা একটি শেষ বা ভাল চায়। নীতিশাস্ত্রের উদ্দেশ্য হল সর্বোচ্চ উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠিত করা, যা উপরের, যা অন্য সকলকে ন্যায্যতা দেয় এবং এটি অর্জনের উপায় জানতে সহায়তা করে। নীতিশাস্ত্র দর্শনের একটি শাখা যেখানে নৈতিকতা, ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাত্ত্বিক দিকগুলো, যেমন - ভাল-মন্দের সংজ্ঞা এর সাথে প্রায়োগিক দিক, যেমন - মানুষের ভাল বা মন্দ ব্যবহারের সংজ্ঞা-ও এর আলোচ্য বিষয়। মানুষের ব্যবহারগত সম্পর্কের তাৎপর্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে নীতিশাস্ত্র বিকাশ লাভ করেছে। বহিঃসংযোগ An Introduction to Ethics - পল নেওয়াল, প্রাথমিক ধারণা লাভের জন্য। স্ট্যানফোর্ড দর্শন বিশ্বকোষ: Ancient Ethics Environmental Ethics Feminist Ethics Natural Law Tradition in Ethics Virtue Ethics C. D. Broad, Five Types of Ethical Theory (New York: Harcourt, Brace and Co., 1930). James Cornman, "Chapter Six: The Problem of Justifying an Ethical Standard," in Philosophical Problems and Arguments — An Introduction, 3d ed., Indianapolis: Hackett, 1982. William Frankena, Ethics, 2d ed., 1973. W. D. Ross, The Right and the Good (1930) Brute Ethics: An Encyclopedia of Animal Ethics. বিষয়শ্রেণী:নীতিশাস্ত্র বিষয়শ্রেণী:সামাজিক দর্শন বিষয়শ্রেণী:জীবন দর্শন বিষয়শ্রেণী:দর্শনের ইতিহাস
নীতিশাস্ত্র
আল ফারাবী (, আবু নসর মুহম্মদ বিন মুহম্মদ আল ফারাবী, একজন প্রখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানী। এছাড়াও তিনি একজন মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ, যুক্তিবিদ এবং সুরকার ছিলেন। পদার্থ বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তিশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতিতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। পদার্থ বিজ্ঞানে তিনিই 'শূন্যতা'-র অবস্থান প্রমাণ করেছিলেন। তিনি ৮৭২, মতান্তরে ৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে তুর্কিস্তানের অন্তর্গত 'ফারাব' নামক শহরের নিকটবর্তী 'আল ওয়াসিজ' নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। অবদান আল ফারাবী দর্শন ছাড়াও যুক্তিবিদ্যা ও সঙ্গীত-এর ন্যায় জ্ঞানের বিস্তর শাখায় অবদান রাখেন। আল মদিনা আল ফাজিলা বা আদর্শ নগর তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ। কিতাব আল মুসিকি আল কবির বা সঙ্গীতের মহান গ্রন্থ তার আরেকটি বিখ্যাত গ্রন্থ। দর্শন প্লেটো ও এরিস্টটলএর দর্শনের উপর তিনি বিস্তর আলোচনা করেছেন। প্লেটোর রিপাবলিক-এর মত তিনিও একটি আদর্শ রাষ্ট্র-এর কল্পনা করেছেন তার আদর্শ নগর গ্রন্থে। তিনি স্রষ্টার সর্বাধিপত্য স্বীকারের পাশাপাশি সৃষ্টিকেও শাশ্বত বলে মনে করতেন। তিনি কোন চরম মত পোষণ করতেন না এবং চিন্তার ক্ষেত্রে পরস্পর-বিরোধী মতকে প্রায়শই একসাথে মিলাবার চেষ্টা করেছেন। রাষ্ট্র দর্শন আদর্শ নগর-এ তার রাষ্ট্রনায়ক-এর একনায়ক বৈশিষ্ট প্রকট। তার মতে রাষ্ট্রের প্রধান রাষ্ট্রের সর্বৈব ক্ষমতা পোষণ করবেন এবং অন্য সবাই তার বাধ্য থাকবেন। নাগরিকদের ক্ষমতায়ও থাকবে শ্রেণী বিভাজন, যেখানে কোনো শ্রেণী তার উপরের শ্রেণীর আদেশ মান্য করবে ও নিচের শ্রেণীর উপর আদেশ জারী করবে। তৎকালীন বহুধাবিভক্ত সামন্ততান্ত্রিক সমাজকে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর আওতায় আনতে এই রাষ্ট্র দর্শন প্রভাব বিস্তার করে এবং সময়ের বিচারে এরূপ ভাবধারা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আদর্শ রাষ্ট্রকে তিনি অসম্ভব উল্লেখ করলেও এটি অর্জনের জন্য মানুষের চিরন্তন প্রচেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন। আরও দেখুন ইসলামী পুরাণ আল রাযী তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:৮৭২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:৯৫০-এর দশকে মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মুসলিম দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:১০ম-শতাব্দীর দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:এরিস্টটলে ভাষ্যলেখক বিষয়শ্রেণী:মধ্যযুগীয় ইসলামের সঙ্গীত তাত্ত্বিক বিষয়শ্রেণী:মধ্যযুগীয় ইসলামের রসায়ন শাস্ত্রের সেবক বিষয়শ্রেণী:মধ্যযুগীয় পদার্থবিদ বিষয়শ্রেণী:বিশ্ব ডিজিটাল লাইব্রেরি সম্পর্কিত বিষয়শ্রেণী:সাংস্কৃতিক সমালোচক বিষয়শ্রেণী:দর্শনের ইতিহাস বিষয়শ্রেণী:সামাজিক সমালোচক বিষয়শ্রেণী:সামাজিক দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:বিজ্ঞানের দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:ইতিহাসের দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃতির দার্শনিক বিষয়শ্রেণী:ভাববাদী
আল ফারাবী
আবু-নাসির সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে আইয়ুব (কুর্দি: سەلاحەدینی ئەییووبی/Selahedînê Eyûbî; ) (১১৩৭/১১৩৮ – ৪ মার্চ ১১৯৩) ছিলেন মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। পাশ্চাত্যে তিনি সালাদিন বলে পরিচিত। তিনি কুর্দি জাতিগোষ্ঠীর লোক ছিলেন। লেভান্টে ইউরোপীয় ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তিনি মুসলিম প্রতিরোধের নেতৃত্ব দেন। ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে তার সালতানাতে মিশর, সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, হেজাজ, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১১৬৩ সালে তার জেনগি বংশীয় ঊর্ধ্বতন নূরউদ্দিন জেনগি তাকে ফাতেমীয় মিশরে প্রেরণ করেন। ক্রুসেডারদের আক্রমণের বিরুদ্ধে সামরিক সাফল্যের মাধ্যমে সালাহউদ্দীন ফাতেমীয় সরকারের উচ্চপদে পৌছান। ফাতেমীয় খলিফা আল আদিদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ১১৬৯ সালে তার চাচা শেরেকোহ মৃত্যুবরণ করলে আল আদিদ সালাহউদ্দীনকে তার উজির নিয়োগ দেন। শিয়া নেতৃত্বাধীন খিলাফতে সুন্নী মুসলিমদের এমন পদ দেয়া বিরল ঘটনা ছিল। উজির থাকাকালে তিনি ফাতেমীয় শাসনের প্রতি বিরূপ ছিলেন। আল আদিদের মৃত্যুর পর তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং বাগদাদের আব্বাসীয় খিলাফতের আনুগত্য ঘোষণা করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ফিলিস্তিনে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালান, ইয়েমেনে সফল বিজয় অভিযানের আদেশ দেন এবং উচ্চ মিশরে ফাতেমীয়পন্থি বিদ্রোহ উৎখাত করেন। ১১৭৪ সালে নূরউদ্দিনের মৃত্যুর অল্পকাল পরে সালাহউদ্দীন সিরিয়া বিজয়ে ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দেন। দামেস্কের শাসকের অনুরোধে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে শহরে প্রবেশ করেন। ১১৭৫ সালের মধ্যভাগে তিনি হামা ও হিমস জয় করেন। জেনগি নেতারা তার বিরোধী হয়ে পড়ে। সরকারিভাবে তারা সিরিয়ার শাসক ছিল। এরপর শীঘ্রই তিনি জেনগি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন এবং আব্বাসীয় খলিফা আল মুসতাদি কর্তৃক মিশর ও সিরিয়ার সুলতান ঘোষিত হন। উত্তর সিরিয়া ও জাজিরায় তিনি আরও অভিযান চালান। এসময় হাশিশীনদের দুটি হত্যাচেষ্টা থেকে তিনি বেঁচে যান। ১১৭৭ সালে তিনি মিশরে ফিরে আসেন। ১১৮২ সালে আলেপ্পো জয়ের মাধ্যমে সালাহউদ্দিন সিরিয়া জয় সমাপ্ত করেন। তবে জেনগিদের মসুলের শক্তঘাটি দখলে সমর্থ হননি। সালাহউদ্দীনের ব্যক্তিগত নেতৃত্বে আইয়ুবী সেনারা ১১৮৭ সালে হাত্তিনের যুদ্ধে ক্রুসেডারদের পরাজিত করে। এর ফলে মুসলিমদের জন্য ক্রুসেডারদের কাছ থেকে ফিলিস্তিন জয় করা সহজ হয়ে যায়। এর ৮৮ বছর আগে ক্রুসেডাররা ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। ক্রুসেডার ফিলিস্তিন রাজ্য এরপর কিছুকাল বজায় থাকলেও হাত্তিনের পরাজয় এই অঞ্চলে মুসলিমদের সাথে ক্রুসেডার সংঘাতের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সালাহউদ্দীন ছিলেন মুসলিম, আরব, তুর্কি ও কুর্দি সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ১১৯৩ সালে তিনি দামেস্কে মৃত্যুবরণ করেন। তার অধিকাংশ সম্পদ তিনি তার প্রজাদের দান করে যান। উমাইয়া মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে তার মাজার অবস্থিত। মো সালাউদ্দীন চিপাই সালাহউদ্দিন আইয়ুবী মেসোপটেমিয়ার তিকরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার ব্যক্তিগত নাম ইউসুফ, সালাহউদ্দিন হল লকব যার অর্থ “বিশ্বাসের ন্যায়পরায়ণ”। তার পরিবার কুর্দি বংশোদ্ভূত এবং মধ্যযুগীয় আর্মেনিয়ার ডিভিন শহর থেকে আগত। নুরউদ্দিন জেনগি ছিলেন তার নানা। এসময় তার নিজ রাওয়াদিদ গোত্র আরবিভাষী বিশ্বের অংশ হয়ে যায়। ১১৩২ সালে মসুলের শাসক ইমাদউদ্দিন জেনগির পরাজিত সেনাবাহিনী পিছু হটার সময় টাইগ্রিসের দিকে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এসময় সালাহউদ্দিনের পিতা নাজমুদ্দিন আইয়ুব এখানকার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তিনি সেনাদের জন্য ফেরির ব্যবস্থা করেন এবং তাদের তিকরিতে আশ্রয় দেন। মুজাহিদউদ্দিন বিহরুজ নামক একজন প্রাক্তন গ্রিক দাস এসময় উত্তর মেসোপটেমিয়ায় সেলজুক পক্ষের সামরিক গভর্নর ছিলেন। তিনি জেনগিদের সাহায্য করার জন্য আইয়ুবের বিরোধী হন। ১১৩৭ সালে আইয়ুবের ভাই আসাদউদ্দিন শিরকুহ বিহরুজের এক বন্ধুকে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে হত্যা করার পর তাকে তিকরিত থেকে বিতাড়িত করেন। বাহাউদ্দিন ইবনে শাদ্দাদের মতে যে রাতে সালাহউদ্দিনের পরিবার তিকরিত ত্যাগ করে সে রাতেই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১১৩৯ সালে আইয়ুব ও তার পরিবার মসুলে চলে আসেন। এখনে ইমাদউদ্দিন জেনগি তাদের পূর্ব অবদান স্বীকার করে আইয়ুবকে বালবিকের দুর্গের কমান্ডার নিয়োগ দেন। ১১৪৬ সালে ইমাদউদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পুত্র নুরউদ্দিন জেনগি আলেপ্পোর অভিভাবক এবং জেনগি রাজবংশের নেতা হন। এসময় সালাহউদ্দিন দামেস্কে বসবাস করছিলেন। বলা হয় যে তিনি এই শহরের প্রতি দুর্বল ছিলেন। তবে তার অল্প বয়সের তথ্য বেশি পাওয়া যায় না। শিক্ষা সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, “বড়রা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছেন সেভাবে শিশুদের গড়ে তোলা হয়”। তার একজন জীবনীকার আল ওয়াহরানির মতে সালাহউদ্দিন ইউক্লিড, আলমাজেস্ট, পাটিগণিত ও আইন সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন। কিছু সূত্র মতে ছাত্রাবস্থায় তিনি সামরিক বাহিনীর চেয়ে ধর্মীয় বিষয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন। ধর্মীয় বিষয়ে তার আগ্রহে প্রভাব ফেলা আরেকটি বিষয় হল প্রথম ক্রুসেডের সময় খ্রিষ্টানদের কর্তৃক জেরুজালেম অধিকার। ইসলাম ছাড়াও বংশবৃত্তান্ত, জীবনী এবং আরবের ইতিহাস ও পাশাপাশি আরব ঘোড়ার রক্তধারা সম্পর্কে তার জ্ঞান ছিল। আবু তামামের রচিত হামাশ তার সম্পূর্ণ জানা ছিল। তিনি কুর্দি এবং তুর্কি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। প্রাথমিক অভিযান চাচা আসাদউদ্দিন শিরকুহর তত্ত্বাবধানে সালাহউদ্দিনের সামরিক কর্মজীবন শুরু হয়। শিরকুহ এসময় দামেস্ক ও আলেপ্পোর আমির নুরউদ্দিন জেনগির একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডার ছিলেন। ১১৬৩ সালে ফাতেমীয় খলিফা আল আদিদের উজির শাওয়ার শক্তিশালী বনু রুজাইক গোত্রের দিরগাম নামক ব্যক্তি দ্বারা মিশর থেকে বিতাড়িত হন। তিনি নুরউদ্দিনের কাছে সামরিক সহযোগিতা চাইলে নুরউদ্দিন তা প্রদান করেন। তিনি ১১৬৪ সালে দিরগামের বিরুদ্ধে শাওয়ারের অভিযানে সহায়তার জন্য শিরকুহকে পাঠান। ২৬ বছরের সালাহউদ্দিন এসময় তার সাথে যান। শাওয়ার পুনরায় উজির হওয়ার পর তিনি শিরকুহকে মিশর থেকে তার সেনা সরিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু শিরকুহ তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন যে নুরউদ্দিনের ইচ্ছা যে তারা মিশরে অবস্থান করবেন। এ অভিযানে সালাহউদ্দিনের ভূমিকা অল্প ছিল। বিলবাইসের পর ক্রুসেডার-মিশরীয় বাহিনী এবং শিরকুহর বাহিনী গাজার পশ্চিমে নীল নদের সন্নিকটে মরু সীমান্তে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। সালাহউদ্দিন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এতে তিনি জেনগি সেনাবাহিনীর দক্ষিণভাগের নেতৃত্ব দেন। কুর্দিদের একটি দল এসময় বাম পাশের দায়িত্বে ছিল। শিরকুহ ছিলেন মধ্য ভাগের অবস্থানে। প্রথমদিকে ক্রুসেডাররা সাফল্য লাভ করলেও অঞ্চলটি তাদের ঘোড়ার জন্য উপযুক্ত ছিল না। কায়সারিয়ার কমান্ডার হিউ সালাহউদ্দিনের দলকে আক্রমণের সময় গ্রেপ্তার হন। মূল অবস্থানের দক্ষিণ প্রান্তের ছোট উপত্যকায় লড়াইয়ের পর জেনগিদের কেন্দ্রীয় শক্তি আগ্রাসী অবস্থানে চলে আসে। সালাহউদ্দিন পিছন থেকে তাদের সাথে যুক্ত হন। এ যুদ্ধে জেনগিরা বিজয়ী হয়। ইবনে আল আসিরের মতে সালাহউদ্দিন শিরকুহকে লিখিত ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় বিজয়ে সাহায্য করেন। তবে এতে শিরকুহর অধিকাংশ লোক মারা যায় এবং কিছু সূত্র মতে এই যুদ্ধ সামগ্রিক জয় ছিল না। সালাহউদ্দিন ও শিরকুহ আলেক্সান্দ্রিয়ার দিকে যাত্রা করেন। সেখানে তাদের অভ্যর্থনা জানান হয় এবং অর্থ, অস্ত্র প্রদান ও শিবির স্থাপন করতে দেয়া হয়। শহর অধিকার করতে এগিয়ে আসা একটি শক্তিশালী ক্রুসেডার-মিশরীয় দলকে প্রতিহত করার জন্য শিরকুহ তার সেনাবাহিনীকে বিভক্ত করেন। তিনি ও তার অধীন সেনারা আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে অন্যত্র যাত্রা করেন এবং সালাহউদ্দিন ও তার অধীনস্থ সেনারা শহর রক্ষার জন্য থেকে যান। মিশরে সালাহউদ্দিন মিশরের আমির শিরকুহ মিশরে শাওয়ার ও প্রথম আমালরিকের সাথে ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন। এতে শাওয়ার আমালরিকের সহায়তা চান। বলা হয় যে ১১৬৯ সালে শাওয়ার সালাহউদ্দিন কর্তৃক নিহত হন। এরপরের বছর শিরকুহ মৃত্যুবরণ করেন। নুরউদ্দিন শিরকুহর জন্য উত্তরাধিকারী বাছাই করেন। কিন্তু আল আদিদ সালাহউদ্দিনকে শাওয়ারের স্থলে উজির নিয়োগ দেন। শিয়া খলিফার অধীনে একজন সুন্নিকে উজির মনোনীত করার কারণ নিয়ে একাধিক মত রয়েছে। ইবনে আল আসিরের দাবি করেছেন যে খলিফার উপদেষ্টারা “সালাহউদ্দিনের চেয়ে ছোট বা দুর্বল কেউ নেই” এবং “একজন আমিরও তার আনুগত্য বা তার অধীনতা মানে না” এমন পরামর্শ দেয়ার কারণে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। এ মতানুযায়ী কিছু মতবিরোধের পর অধিকাংশ আমির তাকে মেনে নেন। আল আদিদের উপদেষ্টারা সিরিয়া ভিত্তিক জেনগি ধারাকে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্য পোষণ করছিলেন। আল ওয়াহরানি লিখেছেন যে সালাহউদ্দিনের পরিবারের সুনাম ও তার সামরিক দক্ষতার জন্য তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ইমাদউদ্দিন আল ইসফাহানির লিখেছেন যে শিরকুহর জন্য সংক্ষিপ্তকালের শোকের পর জেনগি আমিররা সালাহউদ্দিনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন এবং তাকে উজির হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য খলিফাকে চাপ দেন। যদিও বিদ্রোহী মুসলিম নেতাদের কারণে অবস্থা জটিল ছিল, বেশ কিছু সিরিয়ান শাসক মিশরীয় অভিযানে অবদানের জন্য সালাহউদ্দিনকে সমর্থন করেন। আমির হওয়ার পর তিনি প্রভুত ক্ষমতা ও স্বাধীনতা অর্জন করলেও পূর্বের চেয়েও বেশি পরিমাণে আল আদিদ ও নুরউদ্দিনের মধ্যে আনুগত্যের প্রশ্নের সম্মুখীণ হয়। সে বছরের পরবর্তীকালে মিশরীয় সেনাদের একটি দল ও তার আমিররা সালাহউদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তার প্রধান গোয়েন্দা আলি বিন সাফওয়ানের গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তা প্রকাশ পেয়ে যায়। ষড়যন্ত্রকারী নাজি, ফাতেমীয় প্রাসাদের বেসামরিক নিয়ন্ত্রণকর্তা মুতামিন আল খিলাফাকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হয়। এরপরের দিন ফাতেমীয় সেনাবাহিনীর রেজিমেন্টের ৫০,০০০ কালো আফ্রিকান সেনা সালাহউদ্দিনের শাসনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মিশরীয় আমিরের সাথে বিরোধীতা করে এবন বিদ্রোহে করে। ২৩ আগস্ট সালাহউদ্দিন এই উত্থান বিনাশ করেন এবং এরপর কায়রো থেকে কোনো সামরিক হুমকি আসেনি। ১১৬৯ সালের শেষের দিকে নুরউদ্দিনের পাঠানো সাহায্যের মাধ্যমে দামিয়াতের কাছে বৃহৎ ক্রুসেডার-বাইজেন্টাইন সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন। এরপর ১১৭০ সালের বসন্তে নুরউদ্দিন সালাহউদ্দিনের পিতাকে সালাহউদ্দিনের অনুরোধে এবং বাগদাদের খলিফা আল মুসতানজিদের অনুপ্রেরণায় মিশরে পাঠান। আল মুসতানজিদ প্রতিপক্ষ খলিফা আল আদিদকে উৎখাত করতে মনস্থির করেন। সালাহউদ্দিন মিশরে তার অবস্থান শক্ত করেন এবং সমর্থন ঘাঁটি বিস্তৃত করেন। তিনি এই অঞ্চলে তার পরিবারের সদস্যদের উচ্চপদ প্রদান করেন। মালিকি মাজহাবের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে তিনি আদেশ দেন। সেসাথে শাফি মাজহাবের জন্যও প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হয়। মিশরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পর সালাহউদ্দিন ১১৭০ সালে দারুম অবরোধের মাধ্যমে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন। আমালরিক গাজা থেকে তার টেম্পলার গেরিসন সরিয়ে নেন যাতে দারুম রক্ষা করতে সহায়তা পাওয়া যায়। কিন্তু সালাহউদ্দিন তার সেনাদের সরিয়ে নেন এবং গাজায় এগিয়ে আসেন। শহরের দুর্গের বাইরের অঞ্চল ধ্বংস করে দেয়া হয়। দুর্গে প্রবেশ করতে না চাওয়ায় অধিবাসীদের অধিকাংশকে হত্যা করা হয়। সে বছরের ঠিক কবে এলিয়াতের ক্রুসেডার দুর্গ তিনি কবে আক্রমণ ও অধিকার করেন তা স্পষ্ট নয়। এটি আকাবা উপসাগরের একটি দ্বীপের উপর অবস্থিত ছিল। এটি মুসলিম নৌবাহিনীর যাতায়াতে হুমকি ছিল না। কিন্তু ক্ষুদ্র মুসলিম নৌবহরকে তা ব্যতিব্যস্ত করে রাখে ফলে সালাহউদ্দিন এটি দখল করেন। মিশরের সুলতান ইমাদউদ্দিনের মতে ১১৭১ সালের জুন মাসে নুরউদ্দিন সালাহউদ্দিনকে মিশরে আব্বাসীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠার কথা বলে চিঠি লেখেন। দুই মাস পর শাফি ফকিহ নাজমুদ্দিন আল খাবুশানির উৎসাহে সালাহউদ্দিন তা সম্পন্ন করেন। ফকিহ নাজমুদ্দিন শিয়া শাসনের বিরোধী ছিলেন। কয়েকজন মিশরীয় আমির এর ফলে নিহত হন। আল আদিদকে বলা হয় যে তাদেরকে বিদ্রোহের কারণে হত্যা করা হয়েছে। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একটি সূত্র মতে তাকে বিষপ্রয়োগ করা হয়। অসুস্থ অবস্থায় তিনি তার সাথে দেখা করার জন্য সালাহউদ্দিনকে জানান যাতে তার সন্তানদের দেখাশোনার অনুরোধ করতে পারেন। সালাহউদ্দিন তা প্রত্যাখ্যান করেন এই আশঙ্কায় যে এটি আব্বাসীয়দের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। কিন্তু আল আদিদ কী চাইছিলেন তা জানার পর তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। পাঁচ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর আল আদিদ মৃত্যুবরণ করেন। কায়রো ও ফুসতাতে আব্বাসীয় খলিফার নামে খুতবা পাঠ করা হয় এবং আল মুসতাদিকে খলিফা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর সালাহউদ্দিন জেরুজালেম রাজ্যের মরু দুর্গ কেরাক ও মন্ট্রিয়ালের উদ্দেশ্যে কায়রো ত্যাগ করেন। সিরিয়ার দিক থেকে এসময় নুরউদ্দিনের আক্রমণ করার কথা ছিল। তার অনুপস্থিতিতে মিশরের ভেতরে ক্রুসেডার নেতারা ভেতর থেকে আক্রমণ করার জন্য বিশ্বাসঘাতকদের মধ্যে সমর্থন বৃদ্ধি করছে এবং বিশেষত ফাতেমীয়রা তার ক্ষমতা খর্ব করে পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনতে চায় এমন সংবাদ পাওয়ার পর মন্ট্রিয়াল পৌছার পূর্বে সালাহউদ্দিন কায়রোতে ফিরে আসেন। এর ফলে নুরউদ্দিন একা হয়ে পড়েন। ১১৭৩ সালের গ্রীষ্মে একটি নুবিয়ান সেনাবাহিনী আসওয়ান অবরোধের জন্য আর্মেনীয় উদ্বাস্তুসহ এগিয়ে আসে। শহরটির আমির সালাহউদ্দিনের সহায়তা চান এবং সালাহউদ্দিনের ভাই তুরান শাহর অধীনে তাদের সাহায্য পাঠানো হয়। এরপর নুবিয়ানরা চলে যায় কিন্তু ১১৭৩ সালে আবার ফিরে আসে তবে আবার তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। এসময় মিশরীয় সেনারা আসওয়ান থেকে অগ্রসর হয় এবং নুবিয়ার শহর ইবরিম অধিকার করে। সালাহউদ্দিন তার শিক্ষক ও বন্ধু নুরউদ্দিনকে ৬০,০০০ দিনার, চমৎকার প্রণ্য, কিছু রত্ন, উৎকৃষ্ট জাতের গাধা এবং একটি হাতি উপহার হিসেবে পাঠান। এসব দামেস্কে পাঠানর সময় সালাহউদ্দিন ক্রুসেডার এলাকা আক্রমণের সুযোগ পান। তিনি মরুভূমির দুর্গের উপর আক্রমণ চালাননি। কিন্তু ক্রুসেডার অঞ্চলে বসবাসরত মুসলিম বেদুইনদের সেখান থেকে সরিয়ে আনেন যাতে ফ্রাঙ্করা গাইড থেকে বঞ্চিত হয়। ১১৭৩ সালের ৩১ জুলাই সালাহউদ্দিনের পিতা একটি ঘোড়া দুর্ঘটনায় আহত হন। ৯ আগস্ট তিনি মারা যান। ১১৭৪ সালে সালাহউদ্দিন তুরান শাহকে ইয়েমেন জয় ও এর এডেন বন্দর আইয়ুবী শাসনের অন্তর্গত করার জন্য পাঠান। সিরিয়া অধিকার দামেস্ক জয় ১১৭৪ সালের মার্চে নুরউদ্দিন একটি ভূমিকম্পের পর বাগদাদে ফিরে আসেন। অনেক ঐতিহাসিকের মতে এটি ছিল ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প। নুরউদ্দিন শাসক হিসেবে বিপর্যয়ের খবর শোনার পর ফিরে আসেন। তার কিছু শত্রু তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিতে থাকে যার তার ফিরে আসায় প্রভাব ফেলেছে। পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে তার সমস্ত মনোযোগ জনগণের উপর ছিল যার ফলে তিনি বিশ্বাসঘাতক ও হাসান সাহাবর দল যাদেরকে ক্রুসেডাররা সমর্থন করত তাদের কাছ থেকে তার প্রতি হুমকির কথা উপেক্ষা করেন। ১১৭৪ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে বিষপ্রয়োগের ফলে গলায় ব্যথা অনুভব করার পর থেকে সমস্যার প্রথম সূত্র পাওয়া যায়। তার চিকিৎসকদের অনেক প্রচেষ্টার পর নুরউদ্দিন ১১৭৪ সালের ১৫ মে মৃত্যুবরণ করেন। কিছু শক্তিশালী অভিজাত ব্যক্তির দল নুরউদ্দিনের ক্ষমতা তার এগারো বছর বয়সী পুত্র আস সালিহ ইসমাইল আল মালিকের উপর অর্পণ করেন। তার মৃত্যুর ফলে সালাহউদ্দিন ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তার শক্তিশালী মিত্র হারিয়ে ফেলেন। সালিহর কাছে লেখা চিঠিতে তিনি জানান যে তিনি তার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন এমনকি তারা যদি মুসলিম দাবিও করে যদিনা তিনি ও তার সমর্থকরা নুরউদ্দিনের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে ক্রুসেডারদের সাথে মিত্রতা থেকে বিরত থাকেন। নুরউদ্দিনের মৃত্যুর পর সালাহউদ্দিন কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হন। তিনি মিশর থেকে ক্রুসেডারদের উপর আক্রমণ করতে পারতেন অথবা সিরিয়ায় সালিহর কাছ থেকে আমন্ত্রণ লাভ করার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন। এছাড়াও বিদ্রোহীদের হাতে পড়ার আগেই তিনি সিরিয়াকে তার শাসনের অংশে পরিণত করতে পারতেন। কিন্তু ইতিপূর্বে তার প্রভুর অধীন ছিল অঞ্চলে হামলা করলে তা তার অনুসৃত ইসলামি বিধানের লঙ্ঘন হতে পারে এবং এই ঘটনা তাকে একজন প্রতারক হিসেবে তুলে ধরতে পারে যা ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা তৈরি করবে এমন আশঙ্কা করেন। তিনি দেখতে পান যে সিরিয়া অধিকার করার জন্য তাকে হয় সালিহর কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেতে হবে বা তাকে সাবধান করতে হবে যে ক্রমবর্ধমান নৈরাজ্য ক্রুসেডারদের তরফ থেকে হামলার আশঙ্কা তৈরী করবে। সালিহ যখন আগস্টে আলেপ্পোতে চলে যান তখন শহরের আমির ও নুরউদ্দিনের দক্ষ সেনাদের প্রধান গুমুশতিগিন তার উপর অভিভাবকত্ব দাবি করেন। তিনি দামেস্ক থেকে শুরু করে সিরিয়া ও জাজিরাতে তার সকল বিরোধীকে পদচ্যুত করার প্রস্তুতি নেন। এই জরুরি অবস্থায় দামেস্কের আমির মসুলের দ্বিতীয় সাইফউদ্দিন গাজিকে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠান। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর ফলে সালাহউদ্দিনের কাছে সাহায্য চাওয়া হয় এবং তিনি তা প্রদান করেন। সালাহউদ্দিন ৭০০ বর্শাধারী ঘোড়সওয়ার নিয়ে যাত্রা করেন। কেরাক পার হয়ে তিনি বুসরা পৌছান। তার বর্ণনা অনুযায়ী “এখানে আমির, সৈনিক ও বেদুইনরা তার সাথে যোগ দেয় এবং তাদের অন্তরের অনুভূতি তাদের চেহারায় ফুটে উঠে।“ ২৩ নভেম্বর তিনি দামেস্কে ফিরে আসেন। দামেস্কের দুর্গে প্রবেশের আগ পর্যন্ত তিনি তার পিতার পুরনো বাসগৃহে অবস্থান নেন। চারদিন পর দুর্গ উন্মুক্ত হয়। তিনি এরপর দুর্গে অবস্থান নেন এবং নাগরিক আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। পরবর্তী অভিযান ভাই তুগতিগিনকে দামেস্কের গভর্নর হিসেবে রেখে সালাহউদ্দিন পূর্বে নুরউদ্দিনের অধিকারে থাকা আংশিক স্বাধীন শহরসমূহের দিকে রওনা দেন। তার সেনাবাহিনী হামা সহজে দখল করে নেয়। তবে তারা দুর্গের ক্ষমতার জন্য হিমস আক্রমণ এড়িয়ে যান। সালাহউদ্দিন উত্তরে আলেপ্পোর দিকে যাত্রা করেন। গুমুশতিগিন ক্ষমতাত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে ৩০ ডিসেম্বর তা অবরোধ করা হয়। সালাহউদ্দিনের কাছে বন্দী হতে পারে ভেবে সালিহ প্রাসাদের বাইরে এসে অধিবাসীদের কাছে আবেদন জানায় যাতে তারা আত্মসমর্পণ না করে। সালাহউদ্দিনের একজন বর্ণনা লেখকের মতানুযায়ী "জনতা তার কথার জাদুতে চলে আসে।" সেসময় সিরিয়ায় হাশাশিনদের প্রধান ছিলেন রশিদউদ্দিন সিনান ফাতেমীয় খিলাফত উচ্ছেদ করার কারণে সালাহউদ্দিনের প্রতি বিরূপ ছিলেন। গুমুশতিগিন তাকে অনুরোধ করেন যাতে সালাহউদ্দিনকে তার ক্যাম্পে হত্যা করা হয়। ১১৭৫ সালের ১১ মে তেরজন হাশাশিনের একটি দল সালাহউদ্দিনের ক্যাম্পে সহজে প্রবেশ করে কিন্তু আবু কুবাইসের নসিহউদ্দিন খুমারতেকিন কর্তৃক চিহ্নিত হয়ে পড়ে। সালাহউদ্দিনের একজন সেনাপতির হাতে একজনের মৃত্যু হয় এবং অন্যান্যদের পালানোর সময় হত্যা করা হয়। সালাহউদ্দিনের অগ্রগতি প্রতিহত করার জন্য তৃতীয় রেমন্ড নহরুল কবিরের কাছে তার সেনাদের সমবেত করেন। মুসলিম অঞ্চল আক্রমণের জন্য এটি তাদের কাছে উপযুক্ত ছিল। সালাহউদ্দিনের এরপর হোমসের দিকে যাত্রা করেন। কিন্তু শহরের দিকে সাইফউদ্দিনের কাছ থেকে একটি সাহায্যকারী বাহিনী পাঠানো হয়েছে শুনে ফিরে আসেন। ইতিমধ্যে সিরিয়া ও জাজিরায় সালাহউদ্দিনের প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা যুদ্ধ শুরু করেন। তারা দাবি করতে থাকে সালাহউদ্দিন তার নিজের অবস্থা (নুরউদ্দিনের অধীনস্থ) ভুলে গেছেন এবং সাবেক প্রভুর সন্তানকে অবরোধ করে তার প্রতি কোনো সম্মান দেখাচ্ছেন না। সালাহউদ্দিন অবরোধ তুলে নিয়ে প্রপাগান্ডা শেষ করার লক্ষ্য স্থির করেন। তিনি দাবি করেন যে তিনি ক্রুসেডারদের কাছ থেকে ইসলামকে রক্ষা করছেন। তার সেনারা হামা ফিরে এসে সেখানকার ক্রুসেডার সেনাদের মুখোমুখি হয়। ক্রুসেডাররা এখান থেকে ফিরে যায়। সালাহউদ্দিন ঘোষণা করেন যে এটি "মানুষের অন্তরের দরজা উন্মুক্তকারী বিজয়"। এরপর শীঘ্রই ১১৭৫ সালের মার্চে তিনি হিমস প্রবেশ করেন এবং এর দুর্গ অধিকার করেন। সালাহউদ্দিনের সাফল্য সাইফউদ্দিনকে সতর্ক করে তোলে। জেনগিদের প্রধান হিসেবে তিনি সিরিয়া ও মেসোপটেমিয়াকে তার পরিবারের বলে বিবেচনা করতেন এবং সালাহউদ্দিন কর্তৃক তার বংশের অধিকৃত স্থান দখল করায় রাগান্বিত হয়ে পড়েন। সাইফউদ্দিন একটি বড় আকারের সেনাদল গঠন করে আলেপ্পোর দিকে পাঠান। আলেপ্পোর প্রতিরোধকারীরা এর আশঙ্কায় ছিল। মসুল ও আলেপ্পোর যৌথ বাহিনী হামায় সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অগ্রসর হয়। প্রথমে সালাহউদ্দিন দামেস্ক প্রদেশের উত্তর দিকের সমস্ত বিজিত এলাকা ত্যাগ করার মাধ্যমে জেনগিদের সন্ধি করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করে এবং তাকে মিশর ফিরে যেতে বলা হয়। সংঘর্ষ অনিবার্য দেখতে পেয়ে সালাহউদ্দিন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন। যুদ্ধে সালাহউদ্দিনের বাহিনী বিজয়ী হয়। এ বিজয়ের ফলে সালিহর উপদেষ্টারা সালাহউদ্দিনকে দামেস্ক, হিমস ও হামা এবং আলেপ্পোর বাইরের কিছু শহরে সালাহউদ্দিনের নিয়ন্ত্রণ মেনে নিতে বাধ্য হয়। জেনগিদের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর সালাহউদ্দিন নিজেকে রাজা ঘোষণা করেন। সালিহর নাম জুমার খুতবা ও মুদ্রা থেকে বাদ দেয়া হয়। বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা সালাহউদ্দিনের ক্ষমতাপ্রাপ্তিকে স্বাগত জানান এবং তাকে মিশর ও সিরিয়ার সুলতান হিসেবে ঘোষণা করেন। আইয়ুবী ও জেনগিদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই হামার যুদ্ধের পর শেষ হয়ে যায়নি। সাইফউদ্দিন ক্ষুদ্র রাজ্য দিয়ারবাকির ও জাজিরা থেকে সেনা সংগ্রহ করার সময় সালাহউদ্দিন মিশর থেকে ব্যাপক সেনা সমাবেশ করেন। তিনি আলেপ্পো থেকে ২৫ কিমি দূরে তিল সুলতানে পৌছান এবং সেখানে সাইফউদ্দিনের সেনাদের সাথে লড়াই হয়। জেনগিরা সালাহউদ্দিনের বাহিনির বাম অংশকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়। এসময় সালাহউদ্দিন জেনগিদের প্রধান অংশকে আক্রমণ করেন। জেনগি সেনারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। সাইফউদ্দিনের অধিকাংশ অফিসাররা নিহত বা বন্দী হয়। সাইফউদ্দিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। জেনগি সেনা ক্যাম্প, ঘোড়া, মালামাল, তাবু ইত্যাদি আইয়ুবীদের হস্তগত হয়। যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেয়া হয়। যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সেনাদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া হয়। তবে সালাহউদ্দিন নিজের জন্য কিছু রাখেননি। তিনি আল্লেপোর দিএক এগিয়ে যান। যাত্রাপথে তার সেনারা বুজা ও এরপর মানবিজ অধিকার করে। এখান থেকে তারা পশ্চিমে আজাজ দুর্গ অবরোধের জন্য এগিয়ে যায়। কয়েকদিন পর সালাহউদ্দিন তার এক সেনাপতির তাবুতে বিশ্রাম নেয়ার সময় এক হাশাশিন তাকে ছুরি দিয়ে মাথায় আক্রমণ করেন। তার শিরস্ত্রাণের ফলে হামলা সফল হয়নি। তিনি হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। আততায়ীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জন্য তিনি গুমুশতিগিনকে দায়ী করেন এবং অবরোধে শক্তিবৃদ্ধি করেন। ২১ জুন আজাজ অধিকৃত হয়। গুমুশতিগিনকে মোকাবেলা করার জন্য সালাহউদ্দদিন তার সেনাদেরকে আলেপ্পোর দিকে পাঠান। তার হামলা এবারও প্রতিহত করা হয়। তিনি একটি সন্ধি ও আলেপ্পোর সাথে পারস্পরিক মিত্রতা স্থাপন করা হয়। এতে গুমুশতিগিন ও সালিহকে শহরে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে হয় এবং বিনিময়ে তারা সালাহউদ্দিনকে তার অধিকৃত সকল এলাকায় সার্বভৌম হিসেবে মেনে নেয়। মারদিন ও কাইফার আমিররা সালাহউদ্দিনকে সিরিয়ার রাজা হিসেবে মেনে নেয়। হাশাশিনদের সাথে দ্বন্দ্ব সালাহউদ্দিন তার প্রতিপক্ষ জেনগি ও জেরুজালেম রাজ্যের (১১৭৫ এর গ্রীষ্মে অধিকার করে নেয়া হয়) সাথে চুক্তিতে আসলেও রশিদউদ্দিন সিনানের নেতৃত্বাধীন হাশাশিনদের হুমকির সম্মুখীন হন। নুসাইরিয়া পর্বতমালায় তাদের ঘাঁটি ছিল। তারা নয়টি দুর্গ নিয়ন্ত্রণ করত। এগুলো সবই উচ্চভূমিতে অবস্থিত ছিল। সালাহউদ্দিন ১১৭৬ সালের আগস্টে নুসাইরিয়া রেঞ্জে তার সেনাবাহিনীকে নিয়ে যান। একই মাসে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটতে হয়। অধিকাংশ মুসলিম ইতিহাসবিদদের মতে সালাহউদ্দিনের চাচা, হামার গভর্নর সিনান ও সালাহউদ্দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তির মধ্যস্থতা করেন। হাশাশিনদের গুপ্ত ঘাঁটি আক্রমণ করলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তিনি তার রক্ষীদের সংযোগ আলো সরবরাহ করেন এবং তার তাবুর চারপাশে খড়ি ও কয়লা ছিটিয়ে দেয়া হয় যাতে হাশাশিনদের পদচিহ্ন শনাক্ত করা যায়। এই বিবরণ অনুযায়ী, একরাতে সালাহউদ্দিনের রক্ষীরা মাসাইফ পাহাড়ে আলোর স্ফুলিংগ দেখতে পায় এবং তা আইয়ুবী তাবুর মধ্যে হারিয়ে যায়। এসময় সালাহউদ্দিন জেগে উঠে কাউকে তার তাবু থেকে বের হয়ে যেতে দেখতে পান। তার বিছানার পাশে বিষাক্ত ছুরির সাথে গেথে দেয়া একটি বার্তা পাওয়া যায়। এতে লেখা ছিল যে তিনি যদি তার এই অভিযান বন্ধ না করেন তবে এজন্য তার মৃত্যু হতে পারে। সালাহউদ্দিন চিৎকার দিয়ে উঠেন এবং দাবি করেন সিনান নিজেই তার তাবুতে এসেছিল। অন্য একটি বিবরণ অনুযায়ী সালাহউদ্দিন তার সেনাদের সরিয়ে নিয়েছিলেন কারণ লেবানন পর্বতের কাছে একটি ক্রুসেডার দলকে প্রতিহত করা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ছিল। হাশাশিনরা তার সাথে একপ্রকার মিত্রতা স্থাপন করতে চায়। ক্রুসেডারদের বিতাড়নে পারস্পরিক লাভ আছে বিবেচনা করে সালাহউদ্দিন ও সিনান এরপর সহযোগীতার সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং সালাহউদ্দিনের সেনাদের শক্তিবৃদ্ধির জন্য কিছু লড়াইয়ে সিনান সেনাসরবরাহ করেন। কায়রো প্রত্যাবর্তন এবং ক্রুসেডারদের সাথে লড়াই নুসাইরিয়া পর্বত ত্যাগের পর সালাহউদ্দিন দামেস্কে ফিরে আসেন। তার সিরিয়ান সেনারা বাড়ি ফিরে আয়। তিনি তুরান শাহকে সিরিয়ার দায়িত্ব দেন এবং ব্যক্তিগত লোকদের নিয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি কায়রো পৌছান। দুই বছর অনুপস্থিত থাকার পর ফিরে আসায় মিশরকে সংগঠিত ও তদারক করার জন্য তার সময় ব্যয় করতে হয়। শহরের প্রতিরক্ষা মজবুত করা হয়। শহরের দেয়াল সংস্কার করা হয় এবং বর্ধিত অংশ তৈরী করা হয়। এসময় কায়রো দুর্গের নির্মাণ শুরু করা হয়। ২৮০ ফুট (৮৫ মি) গভীর বির ইউসুফ (“ইউসুফের কুয়া”) সালাহউদ্দিনের নির্দেশে খনন করা হয়। কায়রোর বাইরে নির্মিত প্রধান স্থাপনা ছিল গিজার বড় সেতু। মুরিশ আক্রমণ ঠেকাতে প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে এটি নির্মিত হয়েছিল। সালাহউদ্দিন কায়রোর উন্নয়ন সাধন করেন। এখানে তলোয়ার প্রস্তুতকারকদের শিক্ষালয় স্থাপন করা হয় এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক আদেশ এখান থেকে দেয়া হত। ১১৭৭ সালের নভেম্বরে তিনি ফিলিস্তিনে আক্রমণ পরিচালনা করেন। ক্রুসেডাররা সম্প্রতি দামেস্কের অঞ্চলের ভেতর আক্রমণ চালায়। ফলে সালাহউদ্দিন চুক্তি আর বলবত নেই ধরে নেন। আলেপ্পোর উত্তরে হারিমের দুর্গ দখলের জন্য ক্রুসেডাররা বড় আকারের একটি সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। ফলে দক্ষিণ ফিলিস্তিনে কম সংখ্যক প্রতিরক্ষাকারী অবস্থান করছিল। সালাহউদ্দিন অবস্থা অনুকূল বিবেচনা করেন আসকালন যাত্রা করেন। একে তিনি “সিরিয়ার বধু” বলতেন। উইলিয়াম অব টায়ারের বিবরণ অনুয়ায়ী আইয়ুবী সেনাবাহিনীতে মোট ২৬০০০ সেনা ছিল আদের ৮,০০০ ছিল বিশেষ সৈনিক আর ১৮,০০০ সুদানের কালো সৈনিক। সেনাবাহিনী গ্রামাঞ্চলের দিকে এগিয়ে গিয়ে রামলা ও লুদ আক্রমণ করে এবং তাদের জেরুজালেমের ফটক পরন্ত তাড়িয়ে নেয়। বল্ডউইনের সাথে যুদ্ধ ও সন্ধি আইয়ুবীরা রাজা বল্ডউইনকে তার গাজা ভিত্তিক টেম্পলারদের নিয়ে আসকালনে প্রবেশ করতে দেয়। ক্রুসেডার বাহিনী শুধু ৩৭৫জন নাইট নিয়ে গঠিত হলেও সালাহউদ্দিন দক্ষ সেনাপতিদের উপস্থিতির জন্য আক্রমণ থেকে বিরত থাকেন। ২৫ নভেম্বর আইয়ুবী সেনাবাহিনীর বৃহৎ অংশ অনুপস্থিত থাকায় মন্টগিজার্ডের যুদ্ধে সালাহউদ্দিন ও তার সেনারা রামলার কাছে অতর্কিত আক্রমণের সম্মুখীন হন। সেনারা অবস্থান গঠনের আগে টেম্পলাররা আইয়ুবী সেনাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে সালাহউদ্দিন তার সেনাদের সুসংগঠিত করতে সচেষ্ট হন। কিন্তু তার পরবর্তীকালে পরাজয় অনিবার্য হয়ে উঠায় তিনি সেনাদের নিয়ে মিশর ফিরে আসেন। যুদ্ধে পরাজয়ে দমে না গিয়ে সালাহউদ্দিন পুনরায় ক্রুসেডারদের সাথে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেন। ১১৭৮ সালের বসন্তে তিনি হোমসের দেয়ালের কাছে ঘাটি স্থাপন করেন এবং তার সেনাপতিদের সাথে ক্রুসেডার সেনাদের কিছু খন্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়। হামায় তার বাহিনী জয়লাভ করে এবং অনেক শত্রুসেনা বন্দী হয়। বিশৃংখলা সৃষ্টির দায়ে তাদের শিরোচ্ছেদের আদেশ দেয়া হয়। বছরের বাকি সময় তিনি সিরিয়ায় শত্রুদের সাথে লড়াই না করে অবস্থান করেন। সালাহউদ্দিনের গোয়েন্দারা তাকে জানায় যে ক্রুসেডাররা সিরিয়া আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তিনি তার সেনাপতি ফররুখশাহকে তার এক হাজার সেনা নিয়ে দামেস্কের সীমানায় কোনো আক্রমণ হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য পাহারা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং যুদ্ধ এড়িয়ে ফিরে আসতে বলেন। তাকে বলা হয় এরপর পাহাড়ের উপর মশাল জ্বালানোর জন্য যাতে সালাহউদ্দিন এরপর অগ্রসর হতে পারেন। ১১৭৯ সালের এপ্রিলে বল্ডউইনের নেতৃত্বাধীন ক্রুসেডাররা কোনো প্রতিরোধ হবে না ধরে রাখে এবং গোলান মালভূমির পূর্বে মুসলিম পশুপালকদের উপর আচমকা হামলা চালানোর অপেক্ষায় থাকে। ফররুখশাহর বাহিনীর উদ্দেশ্যে বল্ডউইন খুব দ্রুত যাত্রা করেন। তাদের মধ্যে সংঘটিত লড়াইয়ে আইয়ুবীরা জয়ী হয়। এ বিজয়ের পর সালাহউদ্দিন মিশর থেকে আরো সেনা আনার পরিকল্পনা করেন। তিনি আল আদিলকে ১৫০০ ঘোড়সওয়ার পাঠাতে বলেন। ১১৭৯ সালের গ্রীষ্মে রাজা বন্ডউইন দামেস্কের দিকের পথে একটি চৌকি স্থাপন করেন এবং জর্ডান নদীর দিকের পথ সুরক্ষিত করতে চান। সালাহউদ্দিন ১,০০,০০০ স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে এই কাজ বন্ধের জন্য বল্ডউইনকে প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে সাড়া মেলেনি। এরপর তিনি টেম্পলারদের অবস্থান করা চেস্টেলেট নামক দুর্গ ধ্বংস করতে উদ্যত হন। ক্রুসেডাররা দ্রুত মুসলিমদের আক্রমণ করতে এগিয়ে আসলে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। তাদের পদাতিকরা পিছিয়ে পড়ে। তারা প্রাথমিক সাফল্য লাভ করলেও সালাহউদ্দিন পরে সফল হন এবং তার সেনারা ক্রুসেডারদের আক্রমণ করে। যুদ্ধে আইয়ুবীরা জয়ী হয়। অনেক উচ্চপদস্থ নাইট গ্রেপ্তার হয়। সালাহউদ্দিন এরপর দুর্গ দখলের জন্য যাত্রা করেন। ১১৭৯ সালের ৩০ এপ্রিল এটির পতন হয়। ১১৮০ সালের বসন্তে সালাহউদ্দিন সাফাদ অঞ্চলে অবস্থান করার সময় জেরুজালেমের ক্রুসেডার রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক আকারের অভিযান চালানোর ব্যাপারে চিন্তিত ছিলেন। বল্ডউইন তার কাছে শান্তিপ্রস্তাব পাঠান। খরা ও ফসল কম থাকায় সালাহউদ্দিন চুক্তিতে উপনীত হন। রেমন্ড অব ট্রিপলি এই চুক্তির বিরোধীতা করলেও পরে তার এলাকায় আইয়ুবী সেনাদের এক অভিযান ও টারটুস বন্দরে সালাহউদ্দিনের নৌবহর উপস্থিত হওয়ার পর তা মানতে রাজি হন। অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড ১১৮০ সালের জুনে কেইফার অরতুকি আমির নুরউদ্দিন মুহাম্মদের জন্য সালাহউদ্দিন একটি অভ্যর্থনার আয়োজন করেন। এতে তাকে ও তার ভাই আবু বকরকে ১,০০,০০০ দিনার মূল্যের উপহার দেয়া হয়। অরতুকি আমিরদের সাথে মিত্রতা স্থাপন এবং মেসোপটেমিয়া ও আনাতোলিয়ার আমিরদের প্রভাবিত করা এর উদ্দেশ্য ছিল। পূর্বে সালাহউদ্দিন নুরউদ্দিন ও সেলজুক সুলতান দ্বিতীয় খিলজি আরসালান যুদ্ধের মুখোমুখি হলে তাদের মধ্যে সমঝোতা করান। খিলজি আরসালান দাবি করেন যে তার মেয়েকে বিয়ে করার মোহর হিসেবে নুরউদ্দিন তাকে দেয়া এলাকা ফিরিয়ে দেবেন। আরসালান সংবাদ পেয়েছিলেন যে তার মেয়েকে অপমান করা হয়েছে এবং সেলজুক অঞ্চল লাভের জন্য তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নুরউদ্দিন সালাহউদ্দিনকে এই ব্যাপার মধ্যস্থতা করার অনুরোধ জানান। তবে আরসালান তা প্রত্যাখ্যান করেন। নুরউদ্দিন এবং সালাহউদ্দিন গেইক সুতে সাক্ষাত করার পর শীর্ষ সেলজুক আমির আল দীন আল হাসান আরসালানের মেনে নেয়ার সংবাদ নিশ্চিত করেন। এরপর একটি চুক্তি হয়। সালাহউদ্দিন পরবর্তীকালে আরসালানের কাছ থেকে জানতে পারেন যে নুরউদ্দিন তার মেয়েকে আরো অপমান করছে। এতে সালাহউদ্দিন ক্ষিপ্ত হন। তিনি মালাতয়া আক্রমণের হুমকি দেন। হুমকির পর সেলজুকরা আলোচনার জন্য চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় যে আরসালানের কন্যাকে এক বছরের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে এবং যদি নুরউদ্দিন শর্ত মানতে ব্যর্থ হয় তবে সালাহউদ্দিন তার সমর্থন প্রত্যাহার করবেন। ফররুখশাহকে সিরিয়ার দায়িত্বে রেখে ১১৮১ সালের শুরুতে সালাহউদ্দিন কায়রোতে ফিরে আসেন। আবু শামার বর্ণনা অনুযায়ী তিনি মিশরে রমজানের রোজা রাখতে চাইছিলেন এবং গ্রীষ্মে হজের জন্য মক্কায় যেতে চাইছিলেন। অজ্ঞাত কারণে তিনি তার পরিকল্পনা বদলান এবং জুন মাসের দিকে নীল নদের অঞ্চলে পরিদর্শনে বের হন। এখানে তিনি পুনরায় বেদুইনদের সাথে কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হন। তিনি তাদের দুই তৃতীয়াংশ জায়গির অপসারণ করেন যাতে ফায়ুমের জায়গিরদের ক্ষতিপূরণ দেয়া যায়। এছাড়াও বেদুইনরা ক্রুসেডারদের সাথে ব্যবসা করার দায়ে অভিযুক্ত ছিল। শস্য বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তাদেরকে পশ্চিমে বসতি সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে আইয়ুবী যুদ্ধজাহাজ নদীপথে বেদুইন জলদস্যুদের উপর আক্রমণ করে। সাম্রাজ্য বিস্তার মেসোপটেমিমায় অভিযান ১১৮১ সালের জুনে সাইফউদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার ভাই ইজ্জউদ্দিন মসুলের নেতৃত্ব লাভ করেন। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ জেনগি যুবরাজ আস সালিহ আলেপ্পোতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তার প্রধান কর্মকর্তাকে শপথ করান যে তিনি ইজ্জউদ্দিনের প্রতি অনুগত থাকবেন কারণ তিনি ছিলেন সালাহউদ্দিনকে প্রতিহত করতে পারার মত একমাত্র জেনগি শাসক। ইজ্জউদ্দিনকে আলেপ্পোয় স্বাগত জানানো হয়। তিনি তার ভাই ইমাদউদ্দিন জেনগির উপর সিনজারের বিনিময়ে আলেপ্পোর ভার অর্পণ করেন। জেনগিদের সাথে করা পূর্বের চুক্তির কারণে সালাহউদ্দিন এসকল আদানপ্রদানে কোনো হস্তক্ষেপ করেননি। ১১৮২ সালের ১১ মে সালাহউদ্দিন তার অর্ধেক মিশরীয় আইয়ুবী সেনা ও বেশ সংখ্যক বেসামরিক লোক নিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে কায়রো ত্যাগ করেন। সালাহউদ্দিন একে অশুভ মনে করেন। এরপর তিনি আর মিশরে আসেননি। ক্রুসেডাররা তার মোকাবেলা করার জন্য সীমান্তে সমবেত হয়েছে জানতে পেরে তিনি সিনাই উপদ্বীপের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যান। জুনে তিনি দামেস্কে পৌছে জানতে পারেন যে ফররুখশাহ গেলিলি আক্রমণ করেছেন। জুলাই মাসে সালাহউদ্দিন ফরুরখশাহকে কাওকাব আল হাওয়া আক্রমণ করতে পাঠান। পরে আগস্টে আইয়ুবীরা বৈরুত জয়ের জন্য নৌ ও স্থল আক্রমণ চালায়। এই অভিযান ব্যর্থ হয়। সালাহউদ্দিন তা পরিত্যাগ করেন এবং মেসোপটেমিয়ার দিকে নজর দেন। হারানের আমির কুকবারি সালাহউদ্দিনকে জাজিরা অঞ্চল অধিকারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এটি মেসোপটেমিয়ার উত্তর অংশ ছিল। জেনগিদের সাথে তার চুক্তি ১১৮২ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যায়। জাজিরায় তার অগ্রসর হওয়ার পূর্বে এখানের জেনগি শাসকদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। সালাহউদ্দিন ইউফ্রেটিস নদী অতিক্রম করার পূর্বে তিন দিন ধরে আলেপ্পো অবরোধ করার মাধ্যমে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দেন। বিরা পৌছার পর নদীর কাছে সালাহউদ্দিনের সাথে কুকবারি ও হিসান কাইফার নুরউদ্দিন যুক্ত হন। এই যৌথ বাহিনী জাজিরার শহরগুলো জয় করে নেয়। প্রথম এডেসা, এরপর সারুজ, রাকা, কারকেসিয়া ও নুসাইবিন তাদের অধিকারে আসে। রাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ছিল। এসময় এর দায়িত্বে ছিলেন কুতুবউদ্দিন ইনাল। ইতিপূর্বে ১১৭৬ সালে তিনি সালাহউদ্দিনের কাছে মানবিজ হারিয়েছিলেন। সালাহউদ্দিনের বিশাল সেনাবাহিনী দেখে তিনি প্রতিরোধের তেমন চেষ্টা করেননি এবং তাকে তার সম্পদ ধরে রাখার অধিকার দেয়া হবে এই শর্তে আত্মসমর্পণ করেন। বেশ কিছু কর বাতিল করে শহরের অধিবাসীদের উপর প্রভাব ফেলেন, কোষাগারের নথি থেকে সেগুলো মুছে ফেলা হয় এবং বলা হয় যে “সবচেয়ে খারাপ শাসক হল তারা যাদের নিজেদের টাকার থলে পূর্ণ থাকে আর জনগণ থাকে দুর্বল।“ রাকা থেকে তিনি আল ফুদাইন, আল হুসাইন, মাকসিম, দুরাইন, আরাবান ও খাবুর জয়ের জন্য এগিয়ে যান। এসব অঞ্চল তার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে। সালাহউদ্দিন নুসায়বিনের দিকে এগিয়ে যান। এই অঞ্চল কোনো বাধা প্রদর্শন করেনি। মাঝারি আকারের শহর হিসেবে নুসায়বিন তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু মারদিন ও মসুলের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থান ছিল এবং দিয়ারবাকিরে সহজে পৌছানো যেত। এসব বিজয়ের মাঝে সালাহউদ্দিন সবগ্নাদ পান যে ক্রুসেডাররা দামেস্কের গ্রামগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে আলেপ্পোতে শহরের আমির জানগি উত্তর ও পূর্বে সালাহউদ্দিনের শহর যেমন বালিস, মানবিজ, সারুক, বুজা ও আল কারজাইনে আক্রমণ করেন। তিনি এমনকি আল আজাজে নিজের দুর্গ ধ্বংস করে দেন যাতে আইয়ুবীরা তা জয়ে করলে ব্যবহার করতে না পারে। আলেপ্পোর দিকে যাত্রা সালাহউদ্দিন তার দৃষ্টি মসুল থেকে আলেপ্পোর দিকে সরিয়ে নেন এবং তার ভাই তাজুল মুলুককে তেল খালিদ দখলের জন্য পাঠান। এই শহরটি অবরোধ করা হয়। কিন্তু শহরের শাসক ১৭ মে সালাহউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়ার পর আত্মসমর্পণ করেন। ইমাদউদ্দিনের মতে তেল খালিদের পর সালাহউদ্দিন উত্তরে আইন তাবের দিকে এগিয়ে অবস্থান নেন। ২১ মে তিনি শহরের বাইরে শিবির স্থাপন করেন এবং নিজে আলেপ্পো দুর্গের পূর্ব দিকে অবস্থান নেন। তার সেনারা বানাকুসার শহরতলি থেকে উত্তর পূর্বে এবং বাব জানান থেকে পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়। প্রাথমিক সাফল্যের জন্য তার সেনাবাহিনী খুব ঝুঁকিপূর্ণভাবে শহরের নিকট অবস্থান নেয়। জানগি দীর্ঘ সময় প্রতিরোধ করেননি। প্রজাদের মধ্যে তিনি অজনপ্রিয় ছিলেন। তিনি সিনজারে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই শহর তিনি পূর্বে শাসন করতেন। সালাহউদ্দিনের সাথে তার আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে তিনি আলেপ্পোকে সালাহউদ্দিনের হাতে তুলে দেবেন এবং বিনিময়ে তাকে সিনজার, নুসায়বিন ও রাকার নিয়ন্ত্রণ দেয়া হবে। জানগি এসব অঞ্চলকে সামরিক সহায়তার শর্তবলে সালাহউদ্দিনের অনুগত হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। ১২ জুন আলেপ্পো আইয়ুবীদের হস্তান্তর করা হয়। আলেপ্পোর জনগণ এই আলোচনার ব্যাপারে অবগত ছিল না। ফলে দুর্গে সালাহউদ্দিনের পতাকা উত্তোলন করা হলে তারা আশ্চর্য হয়। সালাহউদ্দিনকে শহরে স্বাগত জানানো হয় এবং দুজন আমির যার মধ্যে একজন সালাহউদ্দিনের পুরনো বন্ধু ইজ্জউদ্দিন জুরুদুকও ছিলেন, তার প্রতি আনুগত্য জানান। সালাহউদ্দিন শহরের হানাফি আদালতের স্থলে শাফি আদালত স্থাপন করেন। জানগিকে দুর্গের গুদামের সম্পদ যা তিনি নিতে পারবেন তা নিয়ে যেতে দেয়া হয়। বাকি গুলো সালাহউদ্দিন কিনে নেন। সালাহউদ্দিনের জন্য আলেপ্পো জয় আট বছরের প্রতীক্ষার অবসান ছিল। আলেপ্পো দুর্গে এক রাত অবস্থান করার পর তিনি হারিমের দিকে অগ্রসর হয়। এটি ক্রুসেডারদের অবস্থানস্থল এন্টিওকের নিকটে ছিল। শহরটির শাসনকর্তা ছিলেন সুরহাক নামক একজন মামলুক। সালাহউদ্দিন হারিমের বদলে তাকে বুসরা শহর ও দামেস্কে সম্পত্তি প্রদানের প্রস্তাব করেন। কিন্তু সুরহাক আরো বেশি দাবি করলে তার নিজ গেরিসন তাকে পরিত্যাগ করেন। সালাহউদ্দিনের ডেপুটি তাকিউদ্দিন তাকে গ্রেপ্তার করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি হারিমকে এন্টিওকের তৃতীয় বোহেমন্ডের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছিলেন। হারিমের আত্মসমর্পণের পর সালাহউদ্দিন এর প্রতিরক্ষা মজবুত করেন। অগ্রসর হওয়ার পূর্বে তিনি বেশ কিছু প্রশাসনিক বিষয় নিষ্পত্তি করে যান। তিনি বোহেমন্ডের সাথে চুক্তিতে আসেন এবং এর বিনিময়ে তার কাছে বন্দী মুসলিমদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। আলমউদ্দিন সুলায়মানের কাছে আজাজ ও সাইফউদ্দিন আল ইয়াজকুজের কাছে আলেপ্পোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। মসুলের লড়াই সালাহউদ্দিন মসুলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে তাকে এত বড় শহর জয় ও এই কাজের যথার্থতার কথা চিন্তা করতে হয়। মসুলের জেনগিরা আব্বাসীয় খলিফা আন নাসিরের কাছে আবেদন নিয়ে যায়। নাসিরের উজির তাদের সমর্থন করেন। আন নাসির উচ্চ পদস্থ ধর্মীয় নেতা নাসির বদর আল বদরকে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য পাঠান। সালাহউদ্দিন ১১৮২ সালের ১০ নভেম্বর শহরে পৌছান। ইজ্জউদ্দিন তার শর্ত স্বীকার করেননি। সালাহউদ্দিন এরপর শহর অবরোধ করেন। কয়েকটি খন্ড লড়াই ও খলিফা কর্তৃক অবরোধে অচলাবস্থা সৃষ্টির পর সালাহউদ্দিন নিজ সম্মান হানি না করে ও সামরিক চাপ বজায় রেখে পেছনে সরে আসার ব্যাপারে চিন্তা করেন। তিনি সিনজার আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। এটি ইজ্জউদ্দিনের ভাই শরফউদ্দিনের অধীনে ছিল। ১৫ দিন অবরোধের পর ৩০ ডিসেম্বর এর পতন হয়। সালাহউদ্দিনের কমান্ডার ও সৈনিকরা শৃঙ্খলা ভেঙে শহর লুট শুরু করে। সালাহউদ্দিন গভর্নর ও তার কর্মকর্তাদের সুরক্ষার জন্য মসুলে পাঠিয়ে দেন। সিনজারে গেরিসন প্রতিষ্ঠার পর তিনি ইজ্জউদ্দিন কর্তৃক গঠিত আলেপ্পো, মারদিন ও আর্মেনিয়ার বাহিনীর সম্মিলিত সেনাদলের অপেক্ষায় থাকেন। সালাহউদ্দিন ও তার সেনাবাহিনী হারানে ১১৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি এদের সাক্ষাত পান। কিন্তু তার অগ্রসর হওয়ার সংবাদ শুনে তারা শান্তি প্রস্তাব পাঠায়। প্রতিটি সেনাদল তাদের শহরে চলে যায়। আল ফাদিল লিখেছেন, "তারা (ইজ্জউদ্দিনের সম্মিলিত বাহিনী) পুরুষের মত এগিয়ে আসে, নারীদের মত গায়েব হয়ে যায়।" ২ মার্চ মিশর থেকে আল আদিল চিঠিতে সালাহউদ্দিনকে জানান যে ক্রুসেডাররা ইসলামের কেন্দ্রস্থলে আক্রমণ করেছে। রেনল্ড ডা শাটিলন [আকাবা উপসাগর[|আকাবা উপসাগরে]] লোহিত সাগর তীরের শহর ও গ্রাম আক্রমণের জন্য নৌবহর পাঠিয়েছিলেন। এটি সমুদ্রে প্রভাব বৃদ্ধি বা বাণিজ্য পথ দখলের প্রচেষ্টা ছিল না, বরং এক প্রকার দস্যুতা ছিল। ইমাদউদ্দিন লিখেছেন যে এই আক্রমণ মুসলিমদের জন্য ভীতিকর ছিল কারণ তারা সমুদ্র পথে আক্রমণে অভ্যস্ত ছিল না। ইবনে আল আসিরের মতে স্থানীয় অধিবাসীদের ধারণা ছিল না যে ক্রুসেডাররা যোদ্ধা নাকি বণিক। ইবনে জুবায়ের বলেছেন যে ক্রুসেডাররা ষোলটি মুসলিম জাহাজ জালিয়ে দেয়। এরপর একটি হজ্জযাত্রীদের জাহাজ ও আইদাবে একটি ক্যারাভান দখল করা হয়। তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে তাদের মদিনা আক্রমণের পরিকল্পনা ও মুহাম্মদ এর শরীর সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। আল মাকরিজি যোগ করেন যে ক্রুসেডাররা তার মাজার ক্রুসেডার অঞ্চলে স্থানান্তরিত করতে চাইছিল যাতে মুসলিমদের সেখানে গিয়ে তা জেয়ারত করতে হয়। আল আদিল একজন আর্মেনীয় যোদ্ধা লুলুর মাধ্যমে ফুসতাত থেকে আলেক্সান্দ্রিয়ায় তার যুদ্ধজাহাজগুলো সরিয়ে নেন। তারা ক্রুসেডারদের বাধা অপসারণ করেন। তাদের অধিকাংশ জাহাজ ধ্বংস করা হয়। যারা নোঙর করে মরুভূমির দিকে পালিয়েছিল তাদের বন্দী করা হয়। বেঁচে যাওয়া ক্রুসেডারদের সংখ্যা ছিল ১৭০। সালাহউদ্দিন বিভিন্ন মুসলিম শহরে তাদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। সালাহউদ্দিনের দৃষ্টিকোণ থেকে মসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ভালো চলছিল কিন্তু এরপরও তিনি তার উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হন। তাকিউদ্দিন তার সেনাদের হামায় ফিরিয়ে আনেন। নাসিরউদ্দিন মুহাম্মদ ও তার সেনারা ফিরে যায়। এসব ঘটনা ইজ্জউদ্দিন ও তার মিত্রদের পাল্টা আঘাতের সুযোগ করে দেয়। পুরনো জোট হারান থেকে ১৪০ কিমি দূরে হারজামে সংগঠিত হয়। এপ্রিলের প্রথমদিকে নাসিরউদ্দিনের জন্য অপেক্ষা না করে সালাহউদ্দিন ও তাকিউদ্দিন এই জোটের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। এপ্রিলের শেষনাগাদ তিন দিন ধরে লড়াই চলার পর আইয়ুবীরা আমিদ দখল করে নেয়। তিনি শহরটি মালপত্রসহ নুরউদ্দিন মুহাম্মদের হাতে অর্পণ করেন। এতে ৮০,০০০ মোমবাতি, একটি টাওয়ার ভর্তি তীরের অগ্রভাগ ও ১০,৪০,০০০ বই ছিল। এর বিনিময়ে নুরউদ্দিন সালাহউদ্দিনের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন যে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তার প্রতিটি অভিযানে তাকে অনুসরণ করবেন। আমিদের পতন মারদিনের গাজিকে সালাহউদ্দিনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের উপলব্ধি করতে সহায়তা করে। ফলে ইজ্জউদ্দিনের জোট দুর্বল হয়ে পড়ে। ইজ্জউদ্দিনের বিরুদ্ধে খলিফা আন নাসিরের সমর্থন লাভের জন্য সালাহউদ্দিন চেষ্টা করেন। তিনি ইজ্জউদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের লড়াইয়ে বাধাপ্রদানকারী বলে অভিযোগ তোলেন। সালাহউদ্দিন নিজের অবস্থানের সপক্ষে দাবি করেন যে তিনি সিরিয়াতে ক্রুসেডারদের সাথে লড়াই, হাশাশিনদের ধর্মদ্রোহিতা ও মুসলিমদের অন্যায় কর্ম বন্ধ করতে এসেছেন। তিনি আরো প্রতিশ্রুতি দেন যে যদি মসুল তার হাতে দেয়া হয় তবে তা জেরুজালেম, কনস্টান্টিনোপল, জর্জিয়া ও মাগরেবে আলমোহাদ অঞ্চল জয়ে কাজে দেবে। ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ১১৮২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাইসান আক্রমণের উদ্দেশ্যে সালাহউদ্দিন জর্ডান নদী অতিক্রম করেন। এ স্থান খালি পাওয়া যায়। পরের দিন তার সেনারা শহরটি ধ্বংস করে জ্বালিয়ে দেয় এবং পশ্চিমদিকে যাত্রা করে। কারাক ও শাওবাক থেকে যাত্রা করা ক্রুসেডার সাহায্যকারী বাহিনী নাবলুসের পথে তাদের মুখোমুখি হয়। এদের অনেকেই বন্দী হয়। ইতিমধ্যে গাই অব লুসিগনানের নেতৃত্বাধীন মূল ক্রুসেডার বাহিনী সেফোরিয়াস থেকে আল ফুলার দিকে এগিয়ে যায়। সালাহউদ্দিন ৫০০ জন যোদ্ধা পাঠান যাতে তার বাহিনীকে হামলার মাধ্যমে ব্যস্ত রাখা যায় এবং তিনি নিজে আইন জালুতের দিকে অগ্রসর হয়। ক্রুসেডার বাহিনীতে তাদের সবচেয়ে বড় সেনাবহর ছিল কিন্তু তা মুসলিমদের তুলনায় সংখ্যায় কম ছিল। আইয়ুবীদের কয়েকটি হামলার পর ক্রুসেডাররা আর আক্রমণে ইচ্ছুক ছিল না। সালাহউদ্দিন তার সেনাদের নিয়ে নদীর দিকে ফিরে যান এবং এসময়ে সরবরাহও কমে যায়। ক্রুসেডারদের হামলা সালাহউদ্দিনকে পরবর্তী পদক্ষেপে উদ্বুদ্ধ করে। রেনল্ড অব শাটিলন লোহিত সাগরে মুসলিম বাণিজ্য ও হজ্জযাত্রীদের বহরকে আক্রমণ করেন। এই জলপথটি উন্মুক্ত রাখা সালাহউদ্দিনের জন্য জরুরি ছিল। প্রতিউত্তরে ১১৮২ সালে বৈরুত আক্রমণের জন্য সালাহউদ্দিন ৩০টি জাহাজের একটি নৌবহর গড়ে তোলেন। রেনল্ড মক্কা ও মদিনা আক্রমণের হুমকি দিয়েছিলেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সালাহউদ্দিন দুইবার কেরাক অবরোধ করেন। এটি ১১৮৩ থেকে ১১৮৪ পর্যন্ত রেনল্ডের অধীন ছিল। এরপর ১১৮৫ সালে হজ্জযাত্রীদের একটি ক্যারাভানে রেনল্ড আক্রমণ চালান। ১৩ শতকের Old French Continuation of William of Tyre অনুযায়ী রেনল্ড সালাহউদ্দিনের বোনকে একটি ক্যারাভান হামলায় বন্দী করেছিলেন। সমসাময়িক অন্যান্য মুসলিম ও ফ্রাঙ্কিশ সূত্রগুলোতে এর উল্লেখ নেই তবে তাদের মতে একটি অগ্রবর্তী ক্যারাভানে রেনল্ডের হামলার পর সালাহউদ্দিন তার বোন ও বোনের পুত্রের নিরাপত্তার জন্য রক্ষীদের পাঠান ফলে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কেরাক অবরোধ ব্যর্থ হওয়ার পর সালাহউদিন তার সাময়িকভাবে তার মনোযোগ অন্য এক দীর্ঘমেয়াদি কাজের দিকে সরিয়ে নেন এবং মসুলের আশেপাশে ইজ্জউদ্দিন (মাসুদ ইবনে মওদুদ ইবনে জানগি) এলাকার উপর আক্রমণ শুরু করেন। এরপর মাসুদ আজারবাইজান ও জিবালের ক্ষমতাশালী গভর্নরদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন। মসুলের প্রতিরক্ষাকারীরা যখন জানতে পারে যে সাহায্য আসছে তারা প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে। এসময় সালাহউদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১১৮৬ সালের মার্চে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১১৮৭ সালের জুলাই সালাহউদ্দিন ক্রুসেডার জেরুজালেম রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নেন। ১১৮৭ সালের ৪ জুলাই হাত্তিনের যুদ্ধে জেরুজালেমের রাজা গাই অব লুসিগনান ও তৃতীয় রেমন্ডের সম্মিলিত বাহিনীর সাথে সালাহউদ্দিনের বাহিনী মুখোমুখি হয়। যুদ্ধে ক্রুসেডার সেনাবাহিনী প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ক্রুসেডারদের জন্য এটি একটি বিপর্যয় ছিল এবং ক্রুসেডের ইতিহাসে এটি গতি নিয়ন্ত্রক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। রেনল্ড অব শাটিলনকে বন্দী করা হয়। মুসলিমদের উপর তার আক্রমণের জন্য সালাহউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে তাকে হত্যা করেন। এসব ক্যারাভানের যাত্রীরা মুসলিম ও ক্রুসেডারদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির কথা বলে তার অনুগ্রহ চেয়েছিল কিন্তু রেনল্ড তা উপেক্ষা করেন এবং মুহাম্মদ কে অপমান করেন। একথা শোনার পর সালাহউদ্দিন রেনল্ডকে হত্যার শপথ নিয়েছিলেন। গাই অব লুসিগনানকেও বন্দী করা হয়। রেনল্ডের মৃত্যুদন্ড দেখে তিনি আতঙ্কিত ছিলেন এই ভেবে যে হয়তো তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। তবে সালাহউদ্দিন তাকে ক্ষমা করে দেন এবং বলেন যে, “রাজা অন্য রাজাকে হত্যা করে না, কিন্তু ঐ লোকটা সকল সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং তাই আমি এমন আচরণ করেছি।“ জেরুজালেম বিজয় সালাহউদ্দিন প্রায় সব ক্রুসেডার শহর জয় করেছিলেন। ১১৮৭ সালের ২ অক্টোবর শুক্রবার তার সেনাবাহিনী অবরোধের পর জেরুজালেম জয় করে। অবরোধের শুরুতে তিনি জেরুজালেমে বসবাসরত ফ্রাঙ্কিশদের কোনো নিরাপত্তা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ কারণে বেলিয়ান অব ইবেলিন প্রায় ৫,০০০ মুসলিম বন্দীকে হত্যা ও ইসলামের পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদ ও কুব্বাত আস সাখরা ধ্বংস করে ফেলার হুমকি দেন। সালাহউদ্দিন তার উপদেষ্টাদের সাথে পরামর্শক্রমে এবং শর্তে রাজি হন। জেরুজালেমের রাস্তায় চুক্তি পরে শোনানো হয় যাতে সবাই চল্লিশ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হতে পারে এবং সালাহউদ্দিনকে মুক্তিপণ দিতে পারে। শহরের প্রত্যেক ফ্রাঙ্ক নারী, পুরুষ বা শিশুর জন্য সেসময়ের মূল্য অনেক কম মুক্তিপণ ধার্য করা হয় (আধুনিক হিসাবে ৫০ ডলার)। তবে তার কোষাধ্যক্ষের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে অনেক পরিবার যারা মুক্তিপণ দিতে সক্ষম ছিল না তাদের মুক্তি দেন। জেরুজালেমের পেট্রিয়ার্ক হেরাক্লিয়াস বেশ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন যার মাধ্যমে ১৮,০০০ গরিব নাগরিকের মুক্তিপণ আদায় করা হয়। বাকি ১৫,০০০ জনের জন্য কিছু ছিল না বিধায় বন্দীত্ব বরণ করতে হত। সালাহউদ্দিনের ভাই আল আদিল তাদের মধ্য থেকে ১,০০০ জনকে তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রাখতে চান এবং বাকিদের মুক্তি দেয়া হয়। অধিকাংশ পদাতিক সৈনিককে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয়। জেরুজালেম বিজয়ের পর সালাহউদ্দিন ইহুদিদের শহরে পুনরায় বসবাসের অনুমতি দেন। আসকালনের ইহুদি সম্প্রদায় এই ডাকে সাড়া দেয়। আধুনিক লেবাননের উপকূলে টায়ার ছিল ক্রুসেডারদের শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর। কৌশলগতভাবে এটি প্রথমে জয় করা বেশি কার্যকরী ছিল। কিন্তু জেরুজালেম ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শহর বিধায় সালাহউদ্দিন প্রথম জেরুজালেম জয় করার সিদ্ধান্ত নেন। টায়ারের নেতৃত্বে ছিলেন কনরাড অব মন্টিফেরাট। তিনি এর শক্তিবৃদ্ধি করেন এবং সালাহউদ্দিনের দুইটি অবরোধ ব্যর্থ করতে সক্ষম ছিলেন। ১১৮৮ সালে টরটসায় সালাহউদ্দিন গাই অব লুসিগনানকে মুক্তি দেন এবং তাকে তার স্ত্রী রাণী সিবিলা অব জেরুজালেমের কাছে পাঠিয়ে দেন। তারা প্রথমে ত্রিপলি ও এরপর এন্টিওক যান। ১১৮৯ সালে তারা টায়ারের শাসন দাবি করলে কনরাড তাদের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি গাই অব লুসিগনানকে রাজা হিসেবে মানতেন না। এরপর গাই এক্রে অবরোধ করেন। সালাহউদ্দিনের সাথে জর্জিয়ার রাণী তামারের বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক ছিল। সালাহউদ্দিনের জীবনীকার বাহাউদ্দিন ইবনে শাদ্দাদ উল্লেখ করেছেন যে সালাহউদ্দিন জেরুজালেম জয় করার পর জর্জিয়ান রাণী জেরুজালেমের জর্জিয়ান মঠের সম্পদগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে দূত প্রেরণ করেন। সালাহউদ্দিনের পদক্ষেপ লিপিবদ্ধ করা হয়নি। তবে রাণীর প্রচেষ্টা সফল হয়েছিল বলে মনে করা হয় কারণ আক্রের বিশপ জ্যাকুস ডা ভিটরি উল্লেখ করেছেন যে জর্জিয়ানরা অন্যান্য খ্রিষ্টান তীর্থযাত্রীদের মত না হয়ে বরং বিনা বাধা তাদের পতাকা নিয়ে শহরে চলাচল করতে পারত। ইবনে শাদ্দাদ দাবি করেন যে রাণী তামার বাইজেন্টাইন সম্রাটকে ট্রু ক্রস ফিরিয়ে আনায় তার প্রচেষ্টা নিয়ে সালাহউদ্দিনকে ২,০০,০০০ স্বর্ণখন্ড প্রদানের অতিরঞ্জিত দাবি করেন। তৃতীয় ক্রুসেড হাত্তিনের যুদ্ধ ও জেরুজালেমের পতন তৃতীয় ক্রুসেডকে উদ্বুদ্ধ করে। ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্ড‌ দ্য লায়নহার্ট‌ গাই অব লুসিগনানের এক্রে অবরোধে নেতৃত্ব দেন। তারা শহর জয় করেন এবং নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩,০০০ মুসলিম বন্দীকে হত্যা করেন।<ref name="Beha-ed-Din">[http://www.eyewitnesstohistory.com/lionheart.htm "Richard The Lionheart Massacres", The Saracens, 1191], Beha-ed-Din, his account appears in T.A. Archer's The Crusade of Richard I (1889); Gillingham, John. The Life and Times of Richard I (1973)</ref> বাহাউদ্দিন ইবনে শাদ্দাদ লিখেছেন: ২৮ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্দী ক্রুসেডারদের হত্যার মাধ্যমে এর প্রতিশোধ নেয়া হয়। ১১৯১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আরসুফের যুদ্ধে সালাহউদ্দিনের সেনাবাহিনীর সাথে রিচার্ডে‌র সেনাবাহিনীর লড়াই হয়। এতে সালাহউদ্দিনের বাহিনী বেশ হতাহত হয় এবং পিছু হটতে বাধ্য হয়। আরসুফের যুদ্ধের পর রিচার্ড‌ তার বাহিনি নিয়ে আসকালনের দিলে অগ্রসর হন। রিচার্ডে‌র পরবর্তী পদক্ষেপ বুঝতে পেরে সালাহউদ্দিন শহর খালি করে দেন এবং শহর থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরে অবস্থান নেন। রিচার্ড‌ শহরে উপস্থিত হলে এটি পরিত্যক্ত দেখে অবাক হন। পরের দিন তিনি জাফায় পিছু হটার প্রস্তুতি নেয়ার সময় সালাহউদ্দিন আক্রমণ করেন। মারাত্মক লড়াইয়ের পর রিচার্ডে‌র পিছু হটতে সক্ষম হম। এই দুই বাহিনীর মধ্যে এটি সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ লড়াই ছিল। জেরুজালেম জয়ের জন্য রিচার্ডে‌র সকল সামরিক পদক্ষেপ ও যুদ্ধ ব্যর্থ হয়। যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তার মাত্র ২,০০০ পদাতিক সৈন্য ও ৫০ জন পদাতিক নাইট ছিল। শহরের খুব কাছে পৌছালেও এত কম সেনা নিয়ে তা জয় করা সম্ভব ছিল না। সামরিক প্রতিপক্ষ হওয়ার পরও সালাহউদ্দিন ও রিচার্ডে‌র সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রার ছিল। আরসুফে রিচার্ড‌ তার ঘোড়া হারিয়ে ফেললে সালাহউদ্দিন তাকে দুইটি ঘোড়া পাঠান। রিচার্ড‌ সালাহউদ্দিনের ভাইকে বিয়ে করার তার বোন জোয়ানকে প্রস্তাব করেন এবং জেরুজালেম বিয়ের উপহার করার কথা বলেন। তবে সালাহউদ্দিন ও রিচার্ডে‌র মুখোমুখি সাক্ষাত হয়নি। চিঠি বা বার্তাবাহকের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হত। ১১৯২ সালে তারা রামলার চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে ঠিক করা হয় যে জেরুজালেম মুসলিমদের হাতে থাকবে কিন্তু তা খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হবে। এই চুক্তি ল্যাটিন রাজ্যকে টায়ার থেকে জাফা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করে দেয়। মৃত্যু রাজা রিচার্ডে‌র ফিরে যাওয়ার অল্পকাল পর ১১৯৩ সালের ৪ মার্চ সালাহউদ্দিন দামেস্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার ব্যক্তিগত সম্পদের মধ্যে এক টুকরো স্বর্ণ ও চল্লিশ টুকরো রূপা ছিল। তিনি তার অধিকাংশ গরিব প্রজাদের দান করে যান। দামেস্কের উমাইয়া মসজিদের বাইরে তাকে দাফন করা হয়। সাত শতাব্দী পর জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় উইলিয়াম মাজারে একটি মার্বেলের শবাধার দান করেন। মূল কবরে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। এর পরিবর্তে তা পাশে রাখা হয়। পরিবার ইমাদউদ্দিনের বর্ণনা অনুযায়ী ১১৭৪ সালে মিশর ত্যাগের পূর্বে সালাহউদ্দিনের পাঁচ জন পুত্র ছিল। সালাহউদ্দিনের জ্যেষ্ঠ সন্তান আল আফদাল ইবনে সালাহউদ্দিন ১১৭০ সালে এবং আল আজিজ উসমান ১১৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। দ্বিতীয়জন সিরিয়ায় সালাহউদ্দিনের সাথে ছিলেন। তার তৃতীয় পুত্র ছিলেন আজ জহির গাজি। ইনি পরে আলেপ্পোর শাসক হন। ১১৭৭ সালে আল আফদানের মায়ের গর্ভে সালাহউদ্দিনের আরেক সন্তান জন্মগ্রহণ করে। কালকাশান্দি কর্তৃক রক্ষিত চিঠিতে ১১৭৮ সালের মে মাসে তার বারোতম পুত্রের জন্মের সংবাদ পাওয়া যায়। তবে ইমাদউদ্দিনের তালিকা অনুযায়ী তা সালাহউদ্দিনের সপ্তম সন্তান। পুত্র মাসুদ ১১৭৫ সালে ও ইয়াকুব ১১৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। স্বীকৃতি ও কিংবদন্তী পাশ্চাত্য বিশ্ব ক্রুসেডারদের সাথে সাহসী লড়াইয়ের জন্য সালাহউদ্দিন ইউরোপে বেশ সুনাম অর্জন করেন। মধ্যযুগের পর তার আলোচনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর গোথহল্ড এফরাইম লেসিংসের নাটক নাথান দ্য ওয়াইজ ও স্যার ওয়াল্টার স্কটের উপন্যাস দ্য তালিসমান এ তাকে চিত্রিত করা হয়। তাকে নিয়ে সমসাময়িক দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ এসকল রচনা থেকে উঠে আসে। জোনাথন রিলে স্মিথের মতে স্কটের সালাহউদ্দিন চিত্রায়ণ হল "আধুনিক (১৯ শতক) সময়ের একজন উদাহ ইউরোপীয় ভদ্রলোক যার পাশে মধ্যযুগের পাশ্চাত্য ব্যক্তিদের সর্বদা নিচু অবস্থায় দেখা যায়।" ১০৯৯ সালে জেরুজালেম দখলের পর ক্রুসেডারদের গণহত্যার পরও সালাহউদ্দিন সব সাধারণ খ্রিষ্টান ও এমনকি খ্রিষ্টান সেনাদেরও ক্ষমা করেন ও নিরাপদে যেতে দেন। গ্রীক অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের তুলনামূলক ভালো আচরণ করা হয় কারণ তারা পশ্চিমা ক্রুসেডারদের বিরোধীতা করত। তারিক আলির উপন্যাস দ্য বুক অব সালাহউদ্দিনে'' সালাহউদ্দিন ও তার সময়কার পৃথিবী নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। বিশ্বাসের পার্থক্য সত্ত্বেও সালাহউদ্দিনকে খ্রিষ্টান নেতারা, বিশেষত রিচার্ড‌ সম্মান করতেন। রিচার্ড‌ একবার সালাহউদ্দিনকে মহান রাজা বলে প্রশংসা করেন এবং বলেন যে কোনো সন্দেহ ছাড়াই তিনি ইসলামি বিশ্বের সবচেয়ে মহান ও শক্তিশালী নেতা। সালাহউদ্দিনও রিচার্ড‌কে খ্রিষ্টান নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত বলে উল্লেখ করেন। সন্ধির পর সালাহউদ্দিন ও রিচার্ড‌ সম্মানের নিদর্শন হিসেবে পরস্পরকে অনেক উপহার পাঠান। ১১৯১ সালের এপ্রিল এক ফ্রাঙ্কিশ নারীর তিন মাস বয়সী শিশু ক্যাম্প থেকে হারিয়ে যায় ও তাকে বাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়। ফ্রাঙ্করা তাকে সালাহউদ্দিনের কাছে সাহায্যের জন্য যেতে বলে। বাহাউদ্দিনের বর্ণনা অনুযায়ী সুলতান তার নিজের অর্থে সন্তানটিকে কিনে নিয়ে মহিলাটিকে ফেরত দেন এবং ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ব্রিটিশ জেনারেল এডমন্ড এলেনবি তুর্কিদের কাছ থেকে দামেস্ক দখল করতে সফল হন। কিছু সুত্র মতে শহরে তার প্রবেশের পর তিনি সালাহউদ্দিনের বিখ্যাত ভাস্করযের সামনে তার তলোয়ার উচিয়ে স্যালুট জানান এবং ঘোষণা করেন, “আজ ক্রুসেডের যুদ্ধ সম্পূর্ণ হল”। তিনি আজীবন ১৯১৭ সালে তার ফিলিস্তিন বিজয়কে ক্রুসেড হিসেবে বলার বিরোধীতা করেছেন। ১৯৩৩ সালে তিনি বলেন: "জেরুজালেম কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এ যুদ্ধে কোনো ধর্মীয় কারণ ছিল না।" ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে তার বিজয়কে কার্টুন প্রকাশের মাধ্যমে উদযাপন করে। এতে দেখানো হয় যে রিচার্ড‌ স্বর্গ থেকে জেরুজালেমের দিকে তাকিয়ে আছেন এবং শিরোনাম ছিল "শেষ পর্যন্ত আমার স্বপ্ন সত্য হল।" মুসলিম বিশ্ব ১৮৯৮ সালে জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় উইলিয়াম সালাহউদ্দিনের সম্মানার্থে তার মাজার পরিদর্শন করেন। এই সফর জাতীয়তাবাদী আরবদের মাঝে সালাহউদ্দিনের নতুন ভাবমূর্তি গড়ে তোলে এবং তাকে পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে একজন বীর হিসেবে চিত্রিত করা হয়। ওয়াল্টার স্কট ও অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা সৃষ্ট সালাহউদ্দিন ভাবমূর্তিকে তার লালন করতেন। সালাহউদ্দিনের কুর্দি বংশোদ্ভূত হওয়াকে বিবেচনা করা হত না। এর ফলে মুসলিম বিশ্বে সালাহউদ্দিনের হারিয়ে যাওয়া সুনাম ফিরে আসে যা আর সফল ব্যক্তি মিশরের বায়বার্স কর্তৃক ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। আধুনিক আরব রাষ্ট্রগুলো সালাহউদ্দিনকে বেশ কয়েকভাবে স্মরণ করে। ইরাকের তিকরিত ও সামারায় প্রতিষ্ঠিত সালাহউদ্দিন গভরনোরেট তার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া ইরাকি কুর্দিস্তানের আরবিলে তার নামে সালাহউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আরবিলের একটি শহরতলী মাসিফ সালাহউদ্দিনও তার নামে নামকরণ করা হয়। সালাহউদ্দিনের সাথে সংশ্লিষ্ট অল্প কিছু অবকাঠামো আধুনিক শহরগুলোতে টিকে আছে। তিনি সর্বপ্রথম কায়রোর দুর্গ মজবুত করেন। সিরিয়ায় ক্ষুদ্র শহরেও প্রতিরক্ষা দুর্গ ব্যবস্থা রয়েছে সালাহউদ্দিন এই ব্যবস্থা মিশরে চালু করেন। আইয়ুবীয় রাজবংশ তার মৃত্যুর পর মাত্র ৫৭ বছর টিকে থাকলেও আরব বিশ্বে তার খ্যাতি এখনও টিকে রয়েছে। ২০ শতকে আরব জাতীয়তাবাদের উত্থান, বিশেষত আরব-ইসরায়েলি সংঘাতের সালাহউদ্দিনের বীরত্ব ও নেতৃত্ব নতুনভাবে গুরুত্ব লাভ করেন। আধুনিক দিনের জায়নবাদ বিরোধী আরব কাছে তার জেরুজালেম বিজয় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও তার অধীনে আরব বিশ্বের এক হওয়া আরব জাতীয়তাবাদি, যেমন জামাল আবদেল নাসেরদের কাছে ঐক্যের মন্ত্র হিসেবে কাজ করে। একারণে মিশরের জাতীয় প্রতীক হিসেবে সালাহউদ্দিনের ঈগল প্রতীক ব্যবহার করা হয়। এরপর অন্যান্য বেশ কিছু আরব রাষ্ট্র যেমন ইউনাইটেড আরব রিপাবলিক, ইরাক, লিবিয়া, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনের কাছে স্বীকৃত হয়। আরও দেখুন সালাহউদ্দিন প্রদেশ আল-আকসা মসজিদ কুব্বাত আস সাখরা কিংডম অব হেভেন (চলচ্চিত্র) সালাদিন অ্যানিমেটেড সিরিজ ক্রুসেড (টিভি ধারাবাহিক) তথ্যসূত্র গ্রন্থপঞ্জি প্রাথমিক উৎস পরবর্তী উৎস আরও পড়ুন বহিঃসংযোগ Stanley Lane-Poole, "The Life of Saladin and the Fall of the Kingdom of Jerusalem", in "btm" format Rosebault Ch.J. Saladin. Prince of Chivalri De expugnatione terrae sanctae per Saladinum A European account of Saladin's conquests of the Crusader states. Saladin: The Sultan and His Times, 1138–1193 Richard and Saladin: Warriors of the Third Crusade বিষয়শ্রেণী:সালাহউদ্দিন বিষয়শ্রেণী:১১৩০-এর দশকে জন্ম বিষয়শ্রেণী:১১৯৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:তিকরিতের ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:আইয়ুবীয় রাজবংশ বিষয়শ্রেণী:কুর্দি জাতি বিষয়শ্রেণী:কুর্দি মুসলিম বিষয়শ্রেণী:মধ্যযুগের মুসলিম সেনাপতি বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় ক্রুসেডের মুসলিম বিষয়শ্রেণী:তৃতীয় ক্রুসেডের মুসলিম বিষয়শ্রেণী:আরব সেনাপতি বিষয়শ্রেণী:মিশরের সুলতান বিষয়শ্রেণী:সিরিয়ার শাসক বিষয়শ্রেণী:ইয়েমেনের শাসক বিষয়শ্রেণী:সুন্নি মুসলিম বিষয়শ্রেণী:ফাতেমীয় উজির বিষয়শ্রেণী:কুর্দি শাসক
সালাহউদ্দিন
বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (পূর্ব নাম: বাকলিয়া সরকারি ল্যাবরেটরী উচ্চ বিদ্যালয়) চট্টগ্রাম শহরের পশ্চিম-বাকলিয়ায় অবস্থিত একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বাকলিয়া থানার অন্তর্গত এই সরকারি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে। পূর্বে এই বিদ্যালয়টি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থাকলেও ২০০৯ সাল থেকে দ্বি-শাখায় (Double Shift) শিক্ষাক্রম চালু হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে ছাত্রীরাও ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। প্রভাতী শাখায় আরম্ভ হয় ছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম আর দিবা শাখায় শুরু হয় ছাত্রদের পাঠদান কার্যক্রম। সর্বমোট ১৫৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য অত্র বিদ্যালয়ে ৩২ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োজিত আছেন। ২০১৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চট্টগ্রাম বোর্ডের শীর্ষ ২০টি স্কুলের মধ্যে এই স্কুল ১৯তম হয়। এছাড়াও ২০১৭ সালের জিপিএ পাঁচের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বোর্ডের সেরা দশটি স্কুলের মধ্যে বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৯ম তম স্থান দখল করে। ইতিহাস স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় এই বিদ্যালয়টি স্থাপন করে। পরবর্তিতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে চলে আসে। বিদ্যালয় চত্বর বর্ণনা মূল ভবন, প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ভবন, শিক্ষক ও কর্মীদের আবাসিক ভবন এবং প্রধান শিক্ষকের বাসভবন মিলে চারটি ভবন এই বিদ্যালয়ে রয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি ইংরেজি 'T' আকৃতি বিশিষ্ট। এই মূল ভবনটি দ্বি-তল। এর অভ্যন্তরে সহকারী-প্রধান শিক্ষকের অফিস, শিক্ষকদের সমাবেশ কক্ষ, একাউন্ট ও কর্মচারীদের অফিস, অডিটোরিয়াম, স্কাউট ও বিএনসিসি কক্ষ, পাঠাগার, সায়েন্স ল্যাব ও পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। মূল ভবনের পাশে অবস্থিত প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ভবনটি ত্রি-তল বিশিষ্ট যেখানে নিচ-তলায় প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় দপ্তর এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় শ্রেণীকক্ষ বিদ্যমান। শিক্ষক ও কর্মীদের আবাসিক ভবনটি ত্রি-তল বিশিষ্ট আর প্রধান শিক্ষকের বাসভবনটি বর্তমানে পরিত্যক্ত। পাঠ কার্যক্রম এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মধ্যম বাংলা। সিলেবাস শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত। মধ্য সাময়িক ও বার্ষিক নামে বছরে দুইটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রত্যেক শ্রেণীতে সৃজনশীল পদ্ধতিতেই পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। নবম ও দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি ব্যবহারিক পরীক্ষাতেও অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। ভর্তি এই বিদ্যালয়ে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত জানুয়ারীতেই এই ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ৫ম শ্রেণীতে ২০০ জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ১০০ জন, ৭ম শ্রেণীতে ৪৫জন, ৮ম শ্রেণীতে ৪০ জন এবং ৯ম শ্রেণীতে ৯৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এছাড়া এই বিদ্যালয়ের সম্মানীত শিক্ষকগণ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তিন্ন হওয়ার পর বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সহ শিক্ষা কার্যক্রম বাংলাদেশ স্কাউটস গার্ল গাইডস বিএনসিসি রেডক্রিসেন্ট আরো দেখুন অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ডাঃ খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় গভ. মুসলিম হাই স্কুল সেন্ট প্লাসিড্‌স হাই স্কুল বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ নাসিরাবাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম মাদাম বিবির হাট শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয় তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৬৭-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রামের বিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম মহানগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
স্থির বস্তুর প্রসঙ্গ-কাঠামোতে স্থির কোন পর্যবেক্ষক পরিমাপ করে ঐ বস্তুর যে ভর পান তা-ই বস্তুটির স্থির ভর। অর্থাৎ বস্তু এবং পর্যবেক্ষক-এর মধ্যে আপেক্ষিক বেগ না থাকলে পর্যবেক্ষক-এর পরিমাপে বস্তুর যে ভর পাওয়া যায় সেটাই স্থির ভর (বা, নিশ্চল ভর)। আরও দেখুন আপেক্ষিক ভর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান uk:Інваріантна маса
স্থির ভর
thumb|200px|জেমস জিনস স্যার জেমস হপউড জিন্স (সেপ্টেম্বর ১১, ১৮৭৭ – সেপ্টেম্বর ১৬, ১৯৪৬) একজন প্রখ্যাত ইংরেজ প্রাবন্ধিক ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক। তিনি ক্যামব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন এবং ১৯০৫ থেকে ১৯০৯ সাল নাগাদ আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত গণিতের অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৫ সাল থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি রয়েল ইনস্টিটিউশন ইন ইংল্যান্ড-এ জোতির্বিদ্যা বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি বিজ্ঞানের ওপর জাদুকরী ও মোহময় সব লেখা লিখেছেন। তার জনপ্রিয় বইয়ের মধ্যে 'আমাদের ঘিরে থাকা মহাবিশ্ব'(The Universe Around Us) এবং 'রহস্যময় মহাজগৎ'(The Mysterious Universe) চিরায়তের মর্যাদা পেয়েছে। বিষয়শ্রেণী:১৮৭৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৪৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ লেখক বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ অজ্ঞেয়বাদী
জেমস জিন্স
পুনর্নির্দেশ ৬ ফেব্রুয়ারি
৬ই ফেব্রুয়ারি
পুনর্নির্দেশ ১৬ ফেব্রুয়ারি
১৬ই ফেব্রুয়ারি
পুনর্নির্দেশ ২৬ ফেব্রুয়ারি
২৬শে ফেব্রুয়ারি
পোল্যান্ড ( পল্‌স্কা), সরকারিভাবে পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র (রেচ্‌পস্‌পলিতা পল্‌স্কা) ইউরোপ মহাদেশের মধ্যস্থলের একটি রাষ্ট্র ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। এর রাজধানীর নাম ওয়ার্‌শ। এর পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিণে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, পূর্বে ইউক্রেন ও বেলারুস, এবং উত্তরে বাল্টিক সাগর, লিথুয়ানিয়া, ও রাশিয়া অবস্থিত। বাল্টিক সাগরে পোল্যান্ডের সাথে ডেনমার্কের জলসীমান্ত রয়েছে। পোল্যান্ড ২০০৪ সালের ১লা মে তারিখ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। রেচ্‌পস্‌পলিতা (rzeczpospolita) নামটির ঐতিহাসিক ভাবে ১৬শ শতক হতে পোল্যান্ড-লিথুয়ানিয়া কমনওয়েলথের সময় হতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কমিউনিস্ট শাসনামলে (১৯৫২-১৯৮৯) দেশটির সরকারি নাম ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী পোল্যান্ড (পোলীয় ভাষায় Rzeczpospolita Ludowa)। ইতিহাস স্লাভিক উপজাতিরা প্রথম দেশটিতে বসতি স্থাপন করে। দশম শতাব্দীতে পিয়াস্ট রাজবংশের শাসনামলে রাজ্য হিসেবে পোল্যান্ড সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ করে। ৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্যাপ্টিজম মতাবলম্বীরা দেশটিতে আসে এবং এ সময়ই তাদের প্রচেষ্টায় দেশটিতে খ্রিস্টধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে। ষোড়শ শতকের শেষের দিককে পোল্যান্ডের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলা চলে। এ সময়ই জাগিয়েলনীয় রাজবংশের তত্ত্বাবধানে পোল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে বৃহৎ, সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৩৮৫ সালে পোলিশদের হাত ধরে পাশের রাজ্য লুথিয়ানায়ও খ্রিস্টধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটে। তখন পোলিশ-লিথুনিয়ান ইউনিয়ন গঠিত হয়, যা ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজ্য পোল্যান্ড-লুথিয়ানার ওপর তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চেষ্টা করে। ১৭৯১ সালের দিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও প্রুশিয়া পোল্যান্ডকে অধিকার করে নিজেদের মধ্যে পোল্যান্ড রাজ্যটি ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি আবার স্বাধীনতার স্বাদ পায়। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আবার পোল্যান্ডের ওপর আঘাত আসে। ১৯২০ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত ডানজিগ একটি মুক্ত শহর হিসেবে বিরাজ করে। নাৎসি বাহিনীর পোল্যান্ড আক্রমণ পোল্যান্ডের বিভাজন নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও নাৎসি জার্মানি-র মধ্যে ২৩ অগাস্ট, ১৯৩৯ সালে একটি অহিংস সন্ধি হয় , যা মলোটভ-রিব্বেনট্রপ চুক্তি নামে পরিচিত। চুক্তির সূত্র ধরে ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ সালে নাৎসি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে দখল করে নেয়। পোলিশরা ব্রিটিশ-ফরাসি সাহায্য চাইলে এর মধ্য দিয়ে সূত্রপাত ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। ১৭ সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন পোল্যান্ডে অপ্রত্যাশিত আক্রমণ করে। ২৮ সেপ্টেম্বর নাৎসি জার্মানি দ্বারা ওয়ারশ-এর পতন হয়। দেশটি আবার পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ হয়ে যায়। নির্বাসিত পোলিশ সরকার প্রথমে ফ্রান্স ও পরবর্তীতে লন্ডন থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। আডলফ হিটলার-এর নির্দেশে ৬টি জার্মান নির্মূল শিবির তৈরী করা হয়। ইহুদি প্রশ্নের সমাধানে এই নির্মূল শিবির-গুলো মৃত্যু কেন্দ্রে পরিণত হয়। শুরু হয় ইহুদি গণহত্যা । কেন্দ্রগুলোর মধ্যে প্রধান ছিলো অউশভিৎজ় নির্মূল শিবির যা বর্তমানে ক্ষুদ্রতর-পোল্যান্ড এর ক্রাকোউ থেকে ৬০ কিমি পশ্চিমে অঁস্বীসিম শহরে অবস্হিত । এর ৩টি মূল শাখা অউশভিৎজ়-১ , অউশভিৎজ়- ২-বির্কেনাউ এবং অউশভিৎজ়- ৩-মনোউইটজ। গ্যাস-চেম্বার, বিষাক্ত ইঞ্জেকশন— সর্বত্র মৃত্যুর আয়োজন। গ্যাস চেম্বারে পাঠিয়ে লক্ষ লক্ষ ইহুদিকে এখানে হত্যা করেছে স্চুত্জস্টাফেল(এসএস) গার্ডরা। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ এই পাঁচ বছরে ১১ লক্ষেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল এখানে। ফ্রান্স, হল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, পোল্যান্ডের নানান প্রান্ত থেকে দলে দলে ইহুদিদের পাঠানো হত এই ক্যাম্পে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষকে আসার সঙ্গে সঙ্গে হত্যা করা হত। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচেছিলেন যাঁরা, তাঁদের সংখ্যা নিহতদের তুলনায় নেহাতই অল্প। হিটলারের অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন রুডলফ হস ছিলেন ক্যাম্পের প্রথম প্রধানকর্তা এবং ইয়োসেফ ম্যাঙ্গেলা এই ক্যাম্পের প্রধান নিশৃংস চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৪৫-এর ২৭ জানুয়ারি সোভিয়েট সেনার হাতে মুক্তি পায় অউশভিৎজ়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, পোল্যান্ড সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন এক রাজ্য কমিউনিস্ট পিপলস রিপাবলিক পোল্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকে। ফলে পোল্যান্ড তার বহু বছরের বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার যে সম্মিলিত ঐতিহ্য ছিল, তা থেকে বিচ্যুত হতে থাকে। পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালে কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোতে প্রথম স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন পোলিশ নেতা লেচ ওয়ালিসা। মূলত তার নেতৃত্বে পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ে। ১৯৮৯ সালে তৃতীয় পোলিশ প্রজাতন্ত্রের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পোল্যান্ড সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রবেশ করে, প্রতিষ্ঠিত হয় উদার সংসদীয় গণতন্ত্র। ১৯৯৭ সালে দেশটির নতুন সংবিধান রচিত হয়। ১৯৯৯ সালে ন্যাটোর সদস্য হয় দেশটি এবং ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করে। রাজনীতি প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল পজনান পজনান পোল্যান্ডের পুরনো রাজধানী। শহরটির অন্যতম স্থান ওল্ড টাউন স্কোয়ার। এখানকার বিভিন্ন স্থাপনাতে প্রাচীনকালের গোথিক স্থাপত্য দেখা যায়, যা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। টাউন স্কয়ারের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় ছাগলের নানা স্থাপত্য। এই কারণে পজনান শহরকে বলা হয়ে থাকে, ‘দ্য সিটি অব হেড বাটিং গোটস।’ ভ্রচুয়াব ওডার নদীর ধারে অবস্থিত পশ্চিম পোল্যান্ডের এক বৃহত্তম শহর রক্লো । শতাব্দী ধরে প্রিসিয়া, পোল্যান্ড, জার্মানি এবং বোহেমিয়াদের দ্বারা শাসিত হয়েছে এই শহর। কিন্তু ১৯৪৫ সালের পর থেকে শহরটি পোল্যান্ডের অংশ হয়ে গেছে। শহরটিতে রয়েছে অনন্যসাধারণ কিছু স্থাপত্য। তবে শহরের প্রধান আকর্ষণ মার্কেট স্কয়ার, ওল্ড টাউন হল ও সেন্ট এলিজাবেথ চার্চ। এই শহরটির চারপাশ দেখার জন্য চার্চের সাথে রয়েছে একটি অবজারভেশন টাওয়ার। এখানেই রয়েছে পোল্যান্ডের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা। পর্যটকদের জন্য ওডার নদীতে নৌকায় চেপে শহরটির চারদিক ঘুরে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়ারস পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারস শাস্ত্রীয় সুরকার ফ্রেড্রিক চপ্পিনের জন্মস্থান। দ্বাদশ শতকের কাছকাছি সময়ে শহরটির গোড়াপত্তন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শহরটির অনেকটাই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। বিশ্বযুদ্ধের পর শহরটিকে আবার নতুনভাবে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে শহরটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। শহরের ওল্ড টাউন স্কোয়ারের মাঝখানে রয়েছে ঢাল-তলোয়ার হাতে মারমুখী মৎস্যকন্যার এক বিশাল স্থাপত্য। এই স্থাপত্যের কারণে ওয়ারসকে বলা হয় ‘দ্য সিটি অফ মারমেইড’। এখানে রয়েছে কোপারনিকাস বিজ্ঞান কেন্দ্র। তোরুন ভিস্তুলা নদীর ধারে অবস্থিত জ্যোতির্বিজ্ঞানী কপারনিকাসের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত তোরান শহর। শহরটিতে এখনও মধ্যযুগের বেশ কয়েকটি পুরনো স্থাপনা রয়েছে। শহরের টাউন হলটি ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত। ঐ সময়ের অনেক পুরাতন গির্জা, ক্যাথেড্রাল পর্যটকদের দৃষ্টিতে আকর্ষণীয় স্থান। চেষ্টোহোভা জাস্না গোরা মনেস্ট্রিতে অবস্থিত শহরটির গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান ব্ল্যাক ম্যাডোনার স্থাপত্য।এটা পোল্যান্ডের জাতীয় ঐতিহাসিক মনুমেন্টগুলোর একটি। ব্ল্যাক ম্যাডোনা স্থাপত্যটিতে রয়েছে কুমারী মেরি এবং তার কোলে শিশু যীশু, দুজনেই কৃষ্ণাঙ্গ। পোলিশদের বিশ্বাস, ব্ল্যাক ম্যাডোনার কাছে কোনো কিছু তীব্রভাবে চাইলে তিনি তা পূরণ করেন। ক্র্যাকো পোল্যান্ডে ওয়াওয়েল পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ক্র্যাকো শহরটি। ক্র্যাকোকে ধনীদের শহর বলা হয়ে থাকে। এটি পোল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সপ্তম শতাব্দীতে একটি গ্রাম হিসেবে ক্র্যাকো পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে শহরটি সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্য অধিক পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, নাৎসিরা ইহুদীদের ধরে এনে ক্র্যাকোর একটি ঘাঁটিতে প্রাথমিকভাবে রাখার ব্যবস্থা করেছিল এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে তাদেরকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হতো। শহরটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভিস্তুলা নদী। পুরাতন শহরের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্র্যাকো। ম্যালবর্ক মধ্যযুগের নিদর্শনের এক শহর ম্যালবর্ক এর জার্মানীদের দেয়া ‘মেনেনবুর্গ’ নামটি সর্বাধিক পরিচিত। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে টিউটনিক সাম্রাজ্য এখানে তাদের সদর দফতর প্রতিষ্ঠা করে। মধ্যযুগীয় নানা নিদর্শনের সাক্ষী এই ম্যালবর্ক। এখানে রয়েছে ইউরোপের বৃহত্তম গোথিক দুর্গ, যার নামকরণ করা হয়েছে ভার্জিন মেরির নামে। শহরটিতে রয়েছে তিনটি ঐতিহাসিক দুর্গ। এগুলো বিশ্বের প্রথম ইটের তৈরি দুর্গ। এই দুর্গ নির্মাণে নাকি আনুমানিক ২৩০ বছর লেগেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দুর্গের অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে পেলিশ সরকার তা পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়। গ্ডানস্ক ডানচিহ নামেও শহরটি পরিচিত। উত্তর পোল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর এবং প্রধান বন্দর এই গ্ডানস্ক। বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে নগরটি প্রতিষ্ঠিত। শহরটির এক মিশ্র রাজনৈতিক ইতিহাস আছে। বিভিন্ন সময়ে শহরটি জার্মানি এবং পোল্যান্ডের অন্তর্গত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পোল্যান্ডের স্থায়ী এক অংশ হিসেবে শহরটি আত্মপ্রকাশ করে। শহরটিতে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। পোলিশ রাজাদের ভ্রমণের জন্য নির্মিত রয়েল রোড, সেন্ট মেরি গির্জা এবং বিশ্বের বৃহত্তম ইট গির্জা অন্যতম দর্শনীয় স্থান। অর্থনীতি জনসংখ্যা সংস্কৃতি তথ্যসূত্র আরও দেখুন বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:প্রজাতন্ত্র
পোল্যান্ড
পল্টন ময়দান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি মাঠ। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ঢাকার গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের স্মারক এ ময়দান। ব্রিটিশ সেনাদের পদভারে জেগে উঠা বিশাল উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। পূর্ব বাংলার আন্দোলনের স্মৃতিময় স্থান। স্বাধীন বাংলাদেশ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অসংখ্য গৌরবগাথার জন্ম দিয়েছে পল্টন ময়দান। গোড়াপত্তন ব্রিটিশ আমলে একটি নতুন সেনানিবাস তৈরি করার উদ্দেশ্যে ঢাকার তখনকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস ড'স নবাবপুর ও ঠাটারীবাজার ছাড়িয়ে শহরের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বেশকিছু অংশ সংস্কার করেন। সেখানে সিপাহীদের ছাউনি, অফিসারদের বাসস্থান এবং প্যারেড গ্রাউন্ড করা হয়। এ এলাকাটিই বর্তমান পল্টন বা পুরানা পল্টন এলাকা। পল্টন পুরনো পাণ্ড নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। সেনানিবাসটি মশা, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন উপদ্রব এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সেনাবাহিনীর জন্য পরিত্যক্ত হয়। এর সমর্থনে ১৮৪০ সালে ঢাকা ভ্রমণকারী ডেভিডসনের বক্তব্য পাওয়া যায়। ১৮৫৯ সালে তত্কালীন সার্ভেয়ার জেনারেলের ঢাকার মানচিত্রে পল্টনকে একটি বিরান অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়। সেনানিবাস লালবাগে স্থানান্তরের পর পল্টন এলাকাটির পরিচর্যার দায়িত্ব মিউনিসিপাল কমিটির কাছে দেয়া হয়। এর এক অংশে গড়ে ওঠে 'কোম্পানির বাগান।' আরেক অংশ খেলাধুলা এবং বিভিন্ন সময় সিপাহীদের কুচকাওয়াজের জন্য ব্যবহার করা হত। উনিশ শতকের শেষার্ধে পল্টনে মাঝে মাঝে জনসভা হতে শুরু করে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ঢাকা
পল্টন ময়দান
thumb|250px|right|৬টি শীর্ষবিন্দু (vertex) এবং ৭টি ধার (edge) সম্বলিত একটি গ্রাফ গণিতে এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে গ্রাফ তত্ত্ব () এমন একটি বিষয় যা গ্রাফ সম্পর্কিত বিষয়াদি আলোচনা করে। "গ্রাফ" হচ্ছে কতগুলো ভার্টেক্স বা শীর্ষবিন্দুর সমষ্টি এবং কতগুলো এজ বা রেখার সমষ্টি যারা বিভিন্ন ভার্টেক্সের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। গ্রাফ দিকঅনির্দেশিত বা অদিক হতে পারে যার অর্থ হচ্ছে দুটি ভার্টেক্সের সংযোজক রেখার কোন দিক নেই। দিকসম্বলিত বা সদিক গ্রাফের এজগুলোর নির্দিষ্ট দিক রয়েছে। বিস্তারিত সংজ্ঞার জন্য দেখুন গ্রাফ (গণিত)। ইতিহাস লিওনার্ট অয়লার কনিংসবার্গের সাত সেতু সমস্যার উপরে যে নিবন্ধ লিখেছিলেন তা ১৭৩৬ সালে প্রকাশিত হয়, এবং এটিকে গ্রাফ তত্ত্বের ইতিহাসের প্রথম প্রকাশনা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এই নিবন্ধ এবং ভ্যান্ডারমোন্ডের নাইটের ভ্রমণ সমস্যার উপর লিখিত আরেকটি নিবন্ধে লিবনিজের দেখানো পথে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করা হয়। এজ, ভারটেক্স এবং উত্তল পলিহেড্রনের ফেসের সংখ্যার উপর অয়লার সূত্র প্রদান করেন এবং কোশি ও এল'হুইলিয়ের এটির ওপর গবেষণা করে সূত্রগুলোর সাধারণ বর্ণনা দেন। এভাবেই টপোলজির জন্ম হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বিচ্ছিন্ন গণিত বিষয়শ্রেণী:গ্রাফ তত্ত্ব
গ্রাফ তত্ত্ব
১০ লক্ষ মার্কিন ডলারের ৭টি সমস্যা Clay Mathematics Institute কর্তৃক প্রকাশিত মিলিয়ন ডলারের ৭ টি সমস্যা হল - P বনাম NP হজ অনুমান পোয়াঁকারে অনুমান রিমান প্রকল্প ইয়াং-মিলস তত্ত্বের সত্যতা এবং mass gap নেভিয়ার-স্টোকস সত্যতা এবং মসৃণতা অন্যান্য সমাধানহীন সমস্যা জোড় মৌলিক অনুমান জাদু বর্গ(magic square) এর সংখ্যা গিলব্রেথ অনুমান গোল্ডবাখ অনুমান গোল্ডবাখ দুর্বল অনুমান নিখুঁত ঘনবস্তু হিলবার্টের ১৬ নম্বর সমস্যা সাধারণীকৃত তারকা-উচ্চতা সমস্যা কোলাজ অনুমান শ্যানুয়েল অনুমান abc অনুমান অগুনতি মারসেনি মৌলিক সংখ্যা; কিংবা অগুনতি জোড নিখুঁত সংখ্যা অগুনতি প্রথাগত মৌলিক সংখ্যা অগুনতি কালেন মৌলিক সংখ্যা অগুনতি প্যালিনড্রমিক মৌলিক সংখ্যা (ভিত্তি ১০) কোনো ফার্মা সংখ্যা মৌলিক সংখ্যা নয় (n এর মান ৪ অপেক্ষা বড়) ফার্মা সংখ্যা, যারা মৌলিক/মৌলিক নয় তাদের সংখ্যা অগুনতি/গণনাযোগ্য ভাবে অসীম লেমার অনুমান প্রথাগত মৌলিক সংখ্যা এর সংখ্যা, মৌলিক সংখ্যা গুলির e−½ অংশ বিজোড় নিখুঁত সংখ্যার অস্তিত্ব নিখুঁতপ্রায় সংখ্যার অস্তিত্ব γঅয়লার-মাস্কিরনি ধ্রুবক কি অমূলদ? ক্ষুদ্রতম রিজেল সংখ্যা কত? এছাড়াও অনুমান(অনুমান তালিকা) দেখার জন্য আগ্রহী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সদ্য সমাধানকৃত সমস্যা ক্যাটালান অনুমান কাতো অনুমান তানিয়ামা-শিমুরা অনুমান কেপলার অনুমান ফার্মার শেষ উপপাদ্য বাইবারবাখ অনুমান ৪ রংয়ের উপপাদ্য আরো দেখুন হিলবার্টের ২৩টি সমস্যা। সমাধানহীন সমস্যা সংক্রান্ত বই বিষয়শ্রেণী:গণিত
গণিতে অসমাধিত সমস্যার তালিকা
পর্যায় সারণীর প্রথম শ্রেণীর মৌলগুলোকে ক্ষার ধাতু বলা হয়। ক্ষার ধাতুর বৈশিষ্ট্য ক্ষার ধাতু পর্যায় সারণীরGr IA শ্রেণীভুক্ত।এরা খুব সক্রিয় বলে মুক্ত অবস্থায় প্রকৃতির মধ্যে পাওয়া যায় না।এই ধাতু গুলির অক্সাইড এবং হাইড্রক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয়ে তীব্র ক্ষার উৎপন্ন করে, তাই এদের ক্ষার ধাতু বলা হয়। গ্রুপ I এ যত নিচের দিকে যাওয়া যায় এর সক্রিয়তা ততই বাড়তে থাকে। এদের আয়নিক বন্ধন গঠনের প্রবণতা বেশি থাকে। এরা নরম, চকচকে ও অধিক সক্রিয়। এরা কক্ষ তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করে। ক্ষার ধাতু যোজতা 1 ব্যতিক্রম হাইড্রোজেন গ্রুপ ১A মৌল হওয়া সত্তেও এটি ক্ষার ধাতুর মতো আচরণ করে না। হাইড্রোজেন গ্রুপ ১A এ থাকা সত্তেও এটি অধাতুর ন্যায় আচরন করে। বিষয়শ্রেণী:পর্যায় সারণী
ক্ষার ধাতু
ক্যাডমিয়াম একটি রাসায়নিক মৌল । এর রাসায়নিক চিহ্ণ Cd এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৪৮। অর্থাৎ এটি পর্যায় সারণীর ৪৮তম মৌলিক পদার্থ। ক্যাডমিয়াম একটি ধাতু। এই ধাতুটি নরম এবং দেখতে রুপালি সাদা। রাসায়নিক ধর্মে দস্তা ও পারদের সাথে মিল রয়েছে । ভূত্বকে ক্যাডমিয়ামের গড় পরিমাণ হলো প্রতি দশ লক্ষ ভাগে ০.১ ভাগ থেকে ০.৫ ভাগ। ১৮১৭ সালে বিজ্ঞানী ফ্রিডরিচ স্ট্রমেয়ার ( Friedrich Stromeyer ) এবং কার্ল স্যামুয়েল লেবেরেক্ট হার্মান ( Karl Samuel Leberecht Hermann ) একই সঙ্গে অবিশুদ্ধ জিঙ্ক কার্বনেট থেকে এই ধাতুটি আবিষ্কার করেন। বেশিরভাগ দস্তার আকরিকে অল্প পরিমাণে ক্যাডমিয়াম মিশে থাকে। এছাড়া দস্তা নিষ্কাশনের সময় উপজাত হিসাবে কিছু দস্তারজঃ ( Zinc dust ) পাওয়া যায়। সেই দস্তারজেঃ ক্যাডমিয়াম মিশে থাকে। ইস্পাতকে রাসায়নিক ক্ষয় থেকে রক্ষা করার জন্য ক্যাডমিয়াম প্রলেপের ব্যবহার অনেককাল ধরে চলে আসছে। বৈশিষ্ট্য ভৌত ধর্ম ক্যাডমিয়াম রূপালি সাদা নরম ধাতু। এই ধাতুটি ঘাতসহ এবং নমনীয়। অনেক ধর্মে জিঙ্ক ধাতুর সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে ক্যাডমিয়াম ধাতু জটিল যৌগ তৈরি করতে পারে। ক্যাডমিয়াম ধাতু রাসায়নিক ক্ষয়রোধী। অন্য ধাতুকে রাসায়নিক ক্ষয় থেকে রক্ষা করার জন্য অনেক সময় ঐ ধাতুর উপর ক্যাডমিয়াম বা ক্যাডমিয়াম অক্সাইডের প্রলেপ দেওয়া হয়। ক্যাডমিয়াম জলে অদ্রবণীয় এবং সাধারণভাবে দাহ্য নয়। তবে গুঁড়ো অবস্থায় এটি পুড়তে পারে। সেইসময় বিষাক্ত ক্যাডমিয়াম অক্সাইডের গ্যাস বের হয়। রাসায়নিক ধর্ম বাতাসের সংস্পর্শে ক্যাডমিয়াম জ্বলে গিয়ে বাদামী রঙের অনিয়তকার ক্যাডমিয়াম অক্সাইড গঠন করে। ক্যাডমিয়াম অক্সাইডের নিয়তকার (স্ফটিকাকার) রূপটির রঙ গাড় লাল।তবে উত্তপ্ত করলে জিঙ্ক অক্সাইডের মতো এটি রঙ পরিবর্তন করে। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিডে ক্যাডমিয়াম ধাতু দ্রবীভূত হয়ে যথাক্রমে ক্যাডমিয়াম ক্লোরাইড (CdCl2), ক্যাডমিয়াম সালফেট (CdSO4) এবং ক্যাডমিয়াম নাইট্রেট(Cd(NO3)2) তৈরি করে। তথ্যসূত্র
ক্যাডমিয়াম
thumb|right|A plaque for Planck, commemorating his discovery of the Planck constant, in front of Humboldt University, Berlin. English translation: "Max Planck, discoverer of the elementary quantum of action h, taught in this building from 1889 to 1928."প্লাঙ্ক ধ্রুবক (প্রকাশ জ, এছাড়াও প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক বলা হয়) একটি শারীরিক ধ্রুবক কর্মের কোয়ান্টাম, কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান কেন্দ্রীয় হয় না। প্রথম ম্যাক্স প্লাংক দ্বারা 1900 সালে স্বীকৃত, এটি একটি ক্ষুদ্রায়তন বৈদ্যুতিক চার্জিং oscillator এর শক্তি, ই , ক্ষুদ্রতম বৃদ্ধি ইনপুট মধ্যে সমানুপাতিক অবস্থার হিসাবে ধারণা করা হয় কালো শরীরের বিকিরণ রয়েছে, এবং তার সাথে যুক্ত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ ফ্রিকোয়েন্সি, চ , । 1905 সালে, মান ই , একটি কল্পিত ওসিসিল্টারের ন্যূনতম শক্তি বৃদ্ধি, তত্ত্বগতভাবে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন দ্বারা "কোয়ান্টাম" বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের শক্তি তার ন্যূনতম উপাদান দিয়ে যুক্ত হয়। একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ বিরোধিতা হিসাবে আলোর কোয়ান্টাম একটি বৈদ্যুতিকভাবে নিরপেক্ষ কণা হিসাবে কিছু ক্ষেত্রে আচরণ। এটি অবশেষে একটি ফোটন বলা হয়। এটি কোয়ান্টাম তত্ত্বের মৌলিক অর্থ হচ্ছে একটি সর্বজনীন ধ্রুবক এবং এটি দ্বারা উপস্থাপিত হয়। h = 6.6260755 × 10 (- /) 3 4 জোলস / সেকেন্ড 1900 সালে এম। প্লাংক দ্বারা উপস্থাপিত। যে মাত্রাটি শক্তি × সময়, বা ভরবেগ × দৈর্ঘ্য, এটি কর্মের পরিমাণ মাত্রা হিসাবে একই, তাই h ক্রিয়াটিও বলা হয়। যেহেতু পরমাণুতে ইলেকট্রন শক্তি প্রায় 10 (- /) 1 7 টি জৌলুস এবং বিপ্লব সময় প্রায় 10 (- /) 1 6 সেকেন্ড, তার পণ্য 10 (- /) 3 3 জোল · দ্বিতীয়টি হল এইচ, যেমন বিশ্বের কোয়ান্টাম মেকানিক্স দ্বারা বর্ণিত করা আবশ্যক। যাইহোক, যদি কর্মের পরিমাণ h বেশী বড় হয়, তাহলে এটি ক্লাসিক্যাল বলবিজ্ঞানগুলিতে পরিচালিত হতে পারে। ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স অনুযায়ী energy যে নিরবিচ্ছিন্ন নির্গত হয় সেই ধারণা পাল্টে যায়, বরং তা হয় একটি নির্দিষ্ট পরিমান প্যাকেট আকারে। ... একটি ফোটনের energy বা শক্তি তার কম্পাঙ্ক(frequency) এর সাথে তাই, E=hv সমীকরণ দিয়ে রিলেটেড,যেখানে h হলো প্ল্যাংক ধ্রুবক, যার মান 6.6×10^(-34) জুল*সেকেন্ড। প্লাংকের ধ্রুবক হলো একটি মৌলিক ধ্রুব সংখ্যা যার মান শক্তির একটি কোয়ান্টামের অন্তর্নিহিত শক্তি এবং ঐ কোয়ান্টামের কম্পাঙ্কের অনুপাতের সমান। এটিকে দ্বারা সূচিত করা হয়। এস আই এককে প্লাংকের ধ্রুবক সঠিক এর মান হলো 6.62607015 J s। জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী মাক্স প্লাংকের নামানুসারে এই ধ্রুবকটির নামকরণ করা হয়েছে। অনেক সময় -কেও প্লাংকের ধ্রুবক বলা হয়ে থাকে, যদিও একে সাধারণত লঘুকৃত প্লাংকের ধ্রুবক বলে। এর মান 1.055197273×10^–34 তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান
প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক
thumb|250px|সাপুড়ে খেলা দেখাচ্ছে সাপুড়ে একটি পেশাভিত্তিক জনগোষ্ঠী যারা বনে-বাদাড়ে সাপ ধরে এবং ধৃত সাপের বিষ ও চামড়া বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে। সাপুড়েদের অনেকে জনপদে ঘোরে এবং সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে এদের ঝাঁপিতে করে নির্বীষ সাপ নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। পেটমোটা "সাপুড়ে-বাঁশি" বাজিয়ে এরা সাপ নাচায়। বাংলাদেশের আরেকটি বিশেষ জনগোষ্ঠী হলো বেদে যারা সাপের খেলা দেখিয়ে জীবিকা নিবার্হ করে। প্রকৃতপক্ষে সাপ ভালো শুনতে পায়না, তাই মাটিতে সাপুড়ের পা ঠোকা এবং বাঁশি দোলার কসরতে এরা হেলে-দুলে সাড়া দেয়। এটাই সাপের নাচ তথা সাপের খেলা। সাপুড়ে জনগোষ্ঠীর একাংশ ওঝা নামে পরিচিত। এরা শেকড়-বাকড় দিয়ে সর্পাঘাতের হাতুড়ে চিকিৎসাও করে থাকে। গ্রামে-গঞ্জে কোন কোন ওঝার এমন খ্যাতি থাকে যে এরা সাপে-কাটা মৃত মানুষকে জ্যান্ত করতে সক্ষম। জনশ্রুতি এই যে সাপুড়েরা মন্ত্রসিদ্ধ এবং মন্ত্র বলে সাপ ধরে। এজন্যে সাপুড়েরা জনগণের সমীহের পাত্র। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরা সাপের গতি-প্রকৃতি ও আচরণ সম্পর্কে সম্যক অভিজ্ঞ এবং সুযোগ বুঝে ক্ষীপ্রগতি, হস্তনৈপূণ্যে সাপ পাকড়াও করে ঝাঁপিতে পোড়ে। সাপ ধরার সময় এরা নানা মন্ত্র পাঠ করে থাকে। সাপ ধরার পর এরা বিষ দাঁত উপড়ে ফেলে এবং বিষ দোহন করে নেয়। বিষ দাঁত উপড়ে ফেলা ছাড়াও এরা ডেন্টাল প্যাপিলা চেঁছে রাখে যাতে দাঁত আর না গজায়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পেশাভিত্তিক গোষ্ঠী বিষয়শ্রেণী:সাপ
সাপুড়ে
right|250px|thumb|রাজউক ভবন রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) বাংলাদেশের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি সংস্থা যা রাজধানী ঢাকার উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে থাকে। এর পূর্বনাম ছিল ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি)। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৮৭-এ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বিষয়শ্রেণী:ঢাকার সরকার বিষয়শ্রেণী:ঢাকা ভিত্তিক সংগঠন বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরকারি সংস্থা বিষয়শ্রেণী:নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
রাজউক
ব্যারিয়ন হলো সবল মিথষ্ক্রিয়াকারী মৌলিক কণিকাসমূহের একটি শ্রেণী। এরা হলো যৌগিক অতিপারমাণবিক কণিকা যা বিজোড় সংখ্যক যোজ্যতা কোয়ার্কের (অন্তত তিনটি) সমনন্বয়ে গঠিত। নিউট্রন, প্রোটন এবং হাইপেরন নামে পরিচিত অস্থিতিশীল হ্যাড্রন এই শ্রেনীর সদস্য। কোন ব্যাবস্থায় বিদ্যমান ব্যারিয়নের মোটসংখ্যা থেকে প্রতিব্যারিয়নের মোটসংখ্যা বাদ দিলে পাওয়া যায় ব্যারিয়ন সংখ্যা। ব্যারিয়ন হলো হ্যাড্রনের উপ-শ্রেণি এবং সাম্প্রতিক তত্ত্বানুযায়ী ৩টি কোয়ার্ক দ্বারা গঠিত । বেরিয়ন কোয়ান্টাম সংখ্যাকে বেরিয়ন সংখা বা ভারিত্বের সংখ্যা বলে এবং যেকোন মিথস্ক্রিয়ায় সংরক্ষিত থাকে । তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান
ব্যারিয়ন
ডায়োফ্যান্টাইন সমীকরণ () হল একধরনের অনির্দিষ্ট বহুপদী সমীকরণ যার চলরাশি কেবলমাত্র পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে। ডায়োফ্যান্টাইন সমস্যায় সমীকরণের সংখ্যা অজানা চলকের চেয়ে কম থাকে। ডায়োফ্যান্টাইন শব্দটি প্রাচীন গ্রিক গণিতবিদ ডায়োফ্যান্টাস-এর নাম থেকে এসেছে। ডায়োফ্যান্টাস কর্তৃক সূচিত ডায়োফ্যান্টাইন সমস্যার গাণিতিক পর্যালোচনা এখন ডায়োফ্যান্টাইন বিশ্লেষণ নামে পরিচিত। রৈখিক ডায়োফ্যান্টাইন সমীকরণে, শূন্য অথবা এক মাত্রার দুইটি একপদীর সমষ্টি থাকে। ডায়োফ্যান্টাইন সমীকরণের উদাহরণ রৈখিক ডায়োফন্টাইন সমীকরণ বিষয়শ্রেণী:সমীকরণ
ডায়োফ্যান্টাইন সমীকরণ
পুনর্নির্দেশ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ
আইসিডিডিআরবি
পেল সমীকরণ হলো নিম্নোক্ত বিশিষ্ট ডায়োফন্টাইন সমীকরণ, , যেখানে পূর্ণবর্গ নয় এমন একটি ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা। কার্তেসীয় স্থানাংক ব্যবস্থায় এই সমীকরণটি একটি অধিবৃত্ত নির্দেশ করে। জোসেফ লুইস ল্যাগ্রাঞ্জ প্রমাণ করেন যে, D যদি পূর্ণবর্গ সংখ্যা না হয় তাহলে পেল সমীকরণের অসীম সংখ্যক ভিন্ন পূর্ণসাংখ্যিক সমাধান থাকবে। এই সমাধানগুলো দিয়ে যথাযথভাবে D এর বর্গমূল অনুমান করা সম্ভব। এই সমীকরণ নিয়ে সর্বপ্রথম চর্চা করেন ভারতীয় গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত। তিনি পেল সমীকরণ সমাধানের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যার নাম রাখেন "চক্রবালা পদ্ধতি"। এই পদ্ধতি তিনি তার রচিত "ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত" বইয়ে উল্লেখ করেন ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ পেলের প্রায় এক হাজার বছর পূর্বে। পরবর্তীতে জন পেলের(১৬১০-১৬৮৫) নামানুসারে এই সমীকরণের নামকরণ করা হয়েছে। ইতিহাস ৪০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে ভারত এবং গ্রিসে এই পেল সমীকরণ এর চর্চা ছিল। তারা মূলত এই সমীকরণে বেশি নিযুক্ত ছিলেন কারণ এর থেকে ২ এর বর্গমূল এর আসন্ন মান বের করা যায়। যদি x ও y এর সমাধান হয় তাহলে x/y √2 এর আসন্ন মান হবে। যেমন বৌধায়ন বের করেন যে x = ১৭, y = ১২ ও x = ৫৭৭, y =৪০৮ এই সমীকরণের সমাধান তাই ১৭/১২ ও ৫৭৭/৪০৮ ২ এর বর্গমূল এর আসন্ন মান। পরে আর্কিমিডিস ৩ এর বর্গমূল এর আসন্ন মান ১৩৫১/৭৮০ বের করেন। ডায়োফ্যান্টাস ২৫০ খ্রীঃ বিবেচনা করেন যা পেল সমীকরণ এর সমতুল্য। এবং ব্রহ্মগুপ্ত একটি অভেদ বের করেন যা ব্রহ্মগুপ্তের অভেদ নামে পরিচিত। এর থেকে তিনি এই সমীকরণের আর দুটি সমাধান থেকে তৃতীয় সমাধান : and বের করেন। ১১৫০ খ্রীঃ প্রথম পেল সমীকরণের সাধারণ পদ্ধতি বের করেন দ্বিতীয় ভাস্কর। তার পদ্ধতির নাম চক্রবাল পদ্ধতি। এতে একটি ট্রিপলেট এবং সাধারণ ট্রিপলেট থেকে নতুন ট্রিপলেট বের করেন যা থেকে তিনি স্কেল ডাউন করে নতুন ট্রিপলেট বের করেন। সমাধান প্রাথমিক সমাধান যদি , এর আবৃত ভগ্নাংশ এর অভিসারীসমূহের ধারা (sequence of convergents) হয়, তাহলে কোনো i এর জন্য x1 = hi এবং y1 = ki অর্থাৎ (x1,y1) পেল সমীকরণটির একটি সমাধান হবে। একে প্রাথমিক সমাধান(fundamental solution) বলে। প্রাথমিক সমাধান থেকে অপর সমাধান একটি প্রাথমিক সমাধান থেকে অপর সমাধানে আসা যায়। যেমন- বীজগাণিতিক পদ্ধতিতে এবং পুনরাবৃত্তি/পৌনপুনিক সম্বন্ধ (recurrence relation) দিয়ে বীজগাণিতিক পদ্ধতিতে অনেক সময়ে আরো সহজে লেখা যায় উদাহরণ যেমন n = 7 এর জন্য অর্থাৎ এর জন্য {| class="wikitable" style="text-align:center;" |- ! h / k (Convergent) ! h2 −7k2 (Pell-type approximation) |- | 2 / 1 | −3 |- | 3 / 1 | +2 |- | 5 / 2 | −3 |- | 8 / 3 | +1 |} সুতরাং (8, 3) এখানে প্রাথমিক সমাধান। বহিঃসংযোগ https://sites.google.com/site/tpiezas/008 বিষয়শ্রেণী:সমীকরণ
পেল সমীকরণ
thumb|300px|right|Figure 1: A simplified example of parallax দর্শকের দুইটি ভিন্ন অবস্থানের সাথে কোন খ-বস্তু(celestial body) যে কোণ উৎপন্ন করে থাকে তাকে লম্বন বলে। এই দুই অবস্থানের একটি পৃথিবীর কেন্দ্র এবং অপরটি ভূপৃষ্ঠস্থ কোন স্থান হয়ে থাকলে ভিত্তি রেখাটি(base line) হয় পৃথিবীর ব্যাসার্ধের সমান। এই প্রকারের লম্বনকে বলা হয় আহ্নিক লম্বন। আর দুই অবস্থানের একটি পৃথিবীর কেন্দ্র এবং অপরটি সূর্যের কেন্দ্র হয়ে থাকলে ভিত্তিরেখাটি হবে পৃথিবীর কক্ষপথের গড় ব্যাসার্ধের সমান। এই দ্বিতীয় প্রকারের লম্বনকে বার্ষিক লম্বন বলা হয়। বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়শ্রেণী:জ্যোতির্বিজ্ঞান
লম্বন
thumb|200px|একটি তরঙ্গ উৎস বামদিকে অগ্রসর হচ্ছে। ডপলার ক্রিয়ার কারণে কমাঙ্ক বামে বেশি এবং ডানে কম। উৎস এবং পর্যবেক্ষকের মধ্যকার আপেক্ষিক গতির কারণে কোন তরঙ্গ-সংকেতের কম্পাঙ্ক পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ডপলার ক্রিয়া () বলা হয়। ক্রিস্টিয়ান আনড্রেয়াস ডপলার এর নামে এই ক্রিয়াটির নামকরণ করা হয়েছে। ডপলার ক্রিয়ার সমীকরণ ধরা যাক, কোন একটি উৎস থেকে T সময় পরপর একটি করে তরঙ্গ চূড়া নির্গত হচ্ছে। এখন যদি উৎসটি জনৈক পর্যবেক্ষক থেকে V বেগে দূরে সরে যেতে থাকে, তাহলে পরপর দুটি তরঙ্গ চূড়া পর্যবেক্ষকের কাছে পৌছানোর মধ্যে উৎস আরো VT দূরত্ব অতিক্রম করবে। এর ফলে তরঙ্গ চূড়াগুলি উৎস হতে নির্গত হয়ে পর্যবেক্ষকের নিকট পৌছতে আগের চেয়ে VT/c (এখানে c হলো শব্দের দ্রুতি) পরিমাণ বেশি সময় নেবে। সুতরাং পরপর দুটি তরঙ্গ চূড়া পর্যবেক্ষকের নিকট পৌছাতে অতিবাহিত সময়, হবে। উৎস হতে নির্গত হওয়ার সময়কার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, ; আর পর্যবেক্ষকের নিকট পৌছানোর সময়কার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, হবে। সুতরাং, এই দুই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মধ্যকার অনুপাত, 1 হবে। উৎস যখন পর্যবেক্ষকের দিকে এগিয়ে আসতে থাকবে তখনকার হিসাব-নিকাশও হবে উপরোক্ত পদ্ধতির অনুরূপ, কেবল V এর জায়গায় বসবে -V । যদি উৎসের দিকে পর্যবেক্ষক এগিয়ে আসে, তাহলেও পর্যবেক্ষক উৎসের থেকে বেশি মাত্রায় তরঙ্গচূড়া অনুভব করবে। এটাও কম্পাঙ্ক পরিবর্তনের কারণ। ধরা যাক উৎসের থেকে x দূরত্ব দূরে পর্যবেক্ষক একটি তরঙ্গচূড়া অনুভব করে, আর T' সময় পরে তার পরের তরঙ্গচূড়াটি অনুভব করে, তাহলে, যদি পর্যবেক্ষক স্থিতিশীল থাকত তাহলে ও T সময় বাদে তরঙ্গচূড়াটি অনুভব করত, যেখানে সুতরাং, সুতরাং, এই দুই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মধ্যকার অনুপাত, হবে। পর্যবেক্ষক যখন উৎস থেকে দূরে সরে যেতে থাকবে তখনকার হিসাব-নিকাশও হবে উপরোক্ত পদ্ধতির অনুরূপ, কেবল V এর জায়গায় বসবে -V । ধরা যাক পর্যবেক্ষক উৎসের দিকে দ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যায়, আর উৎস পর্যবেক্ষকের দিকে দ্রুতি নিয়ে এগিয়ে আসে, তাহলে, এই দুই তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মধ্যকার অনুপাত, হবে। (সর্বোপরি, এই পদ্ধতিটি শব্দ তরঙ্গ ছাড়াও বহু প্রকার তরঙ্গের জন্য সমভাবে প্রযোজ্যে, তবে সেই সব তরঙ্গের দ্রুতি আলোর দ্রুতির থেকে অনেক কম হতে হবে। ) উদাহরণস্বরূপ, কন্যাস্তবকের অন্তর্গত ছায়াপথগুলি আমাদের ছায়াপথ, আকাশ-গঙ্গা, হতে সেকেন্ডে প্রায় ১,০০০ কি. মি. গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে। আলোর দ্রুতি হলো প্রতি সেকেন্ডে ৩,০০,০০০ কি. মি. । কাজেই কন্যাস্তবক থেকে আগত কোন বর্ণালী-রেখার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য , তার প্রকৃত মান অপেক্ষা গুণ বৃহত্তর হবে যেখানে, সাধারণ ব্যবহার বিষয়শ্রেণী:শব্দবিজ্ঞান
ডপলার ক্রিয়া
সায়ানোজেন(Cyanogen) একটি রাসায়নিক যৌগ যার সংকেত হলো CN । কার্বন এবং নাইট্রোজেন ঘটিত এই যৌগটি আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থানে দৃশ্যমান আলোর শোষণের মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে। এটি একটি বর্ণহীন বিষাক্ত গ্যাস যার ঝাঝোলো গন্ধ রয়েছে। সায়ানোজেন হলো অক্সিজেনের একটি অক্সামাইড H2NC(O)C(O)NH2 → NCCN + 2 H2O যদিও অক্সামাইড সায়ানোজেনের আর্দ্র বিশ্লেষণ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংয়োগ National Pollutant Inventory - Cyanide compounds fact sheet PhysOrg.com CDC - NIOSH Pocket Guide to Chemical Hazards বিষয়শ্রেণী:রসায়ন
সায়ানোজেন
সূক্ষ্ম-গঠন ধ্রুবক(Fine-structure constant) হলো পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম ইলেকট্রো-গতিবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধ্রুবরাশি। ইলেকট্রন-আধানের বর্গ এবং প্ল্যাংকের ধ্রুবক ও আলোর দ্রুতির গুণফল -এর অনুপাত হিসাবে একে সংজ্ঞায়িত করা হয়। একে দ্বারা সূচিত করা হয়। এর মান হলো: ১/১৩৭.০৩৬ । বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান
সূক্ষ্ম-গঠন ধ্রুবক
পদ্মভূষণ ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। ভারতের অসামরিক সম্মাননাগুলির মর্যাদাক্রম অনুসারে এই সম্মাননার স্থান ভারতরত্ন ও পদ্মবিভূষণের পরে, কিন্তু পদ্মশ্রীর আগে। জাতির প্রতি বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০০৯ সাল অবধি, ১০৬৪ জন এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। প্রাপক পদ্মভূষণ প্রাপক (১৯৫৪–১৯৫৯) পদ্মভূষণ প্রাপক (১৯৬০–১৯৬৯) পদ্মভূষণ প্রাপক (১৯৭০–১৯৭৯) পদ্মভূষণ প্রাপক (১৯৮০–১৯৮৯) পদ্মভূষণ প্রাপক (১৯৯০–১৯৯৯) পদ্মভূষণ প্রাপক (২০০০–২০০৯) পদ্মভূষণ প্রাপক (২০১০–২০১৯) পাদটীকা বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ভারতের জাতীয় পুরস্কার বিষয়শ্রেণী:পদ্মভূষণ বিজয়ী
পদ্মভূষণ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস নামক জনৈক মধ্যযুগীয় কবি রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যানকাব্য। ১৯০৯ সালে{তারিখ অজানা} বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা (কালিয়া) গ্রামের শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্র বংশীয় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়ালঘরের মাচার ওপর থেকে এই কাব্যের একটি পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে তারই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়; যদিও কারও কারও মতে মূল গ্রন্থটির নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। বৌদ্ধ-সহজীয়া গ্রন্থ চর্যাপদের পর এটিই আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন। বৈশিষ্ট্য ভগবান বিষ্ণুর অবতাররূপে কৃষ্ণের জন্ম, বড়াইয়ের সহযোগিতায় বৃন্দাবনে রাধার সঙ্গে তার প্রণয় এবং অন্তে বৃন্দাবন ও রাধা উভয়কে ত্যাগ করে কৃষ্ণের চিরতরে মথুরায় অভিপ্রয়াণ – এই হল ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মূল উপজীব্য। আখ্যায়িকাটি মোট ১৩ খণ্ডে বিভক্ত। জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড ইত্যাদি ১২টি অংশ 'খণ্ড' নামে লেখা হলেও অন্তিম অংশটির নাম শুধুই 'রাধাবিরহ', এই অংশটির শেষের পৃষ্ঠাগুলি পাওয়া যায়নি। পুঁথিটি খণ্ডিত বলে কাব্যরচনার সন-তারিখও জানা যায় না। কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র — কাহ্নাঞি, রাধা, বড়াঞি। তবে আলোচ্য কাব্যটি সংস্কৃত কাব্য গীতগোবিন্দম্-এর ধরনে আখ্যানধর্মী ও সংলাপের আকারে রচিত বলে এতে প্রাচীন বাংলা নাটকের ('চিত্রনাটগীতি') একটি আভাস মেলে। মনে করা হয়, পূর্বতন লোকব্যবহারে অমার্জিত স্থূল রঙ্গরসের যে ধামালী গান প্রচলিত ছিল, তা থেকেই কবি এর আখ্যানভাগ সংগ্রহ করেছিলেন। কাব্যটিতে প্রাকৃত প্রেমের আকর্ষণ-বিকর্ষণ পালাগান বা নাটের ঠাটে উপস্থাপিত। গ্রন্থটি স্থানে স্থানে আদিরসে জারিত ও গ্রাম্য অশ্লীলতাদোষে দুষ্ট হলেও আখ্যানভাগের বর্ণনানৈপুণ্য ও চরিত্রচিত্রণে মুন্সিয়ানা আধুনিক পাঠকেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটিতে বেশ কয়েকবার উদ্ধৃত মর্মস্পর্শী একটি পদ — "কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি কালিনী নই কূলে। কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি এ গোঠ গোকুলে। আকুল শরীর মোর বেয়াকুল মন। বাঁশীর শবদেঁ মো আউলাইলোঁ বান্ধন। কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি সে না কোন জনা। দাসী হুআঁ তার পাএ নিশিবোঁ আপনা। কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি চিত্তের হরিষে। তার পাএ বড়ায়ি মোঁ কৈলোঁ কোন দোষে। আঝর ঝরএ মোর নয়নের পাণী। বাঁশীর শবদেঁ বড়ায়ি হারায়িলোঁ পরাণী।" গুরুত্ব চর্যাপদের পর ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন। বাংলা ভাষাতত্ত্বের ইতিহাসে এর গুরুত্ব তাই অপরিসীম। অপরদিকে এটিই প্রথম বাংলায় রচিত কৃষ্ণকথা বিষয়ক কাব্য। মনে করা হয়, এই গ্রন্থের পথ ধরেই পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলির পথ সুগম হয়; তবে এই কাব্যের ভাব বৈষ্ণব-মহান্তদের নির্দেশিত কৃষ্ণলীলার ভাবব্যঞ্জনার সঙ্গে মেলে না। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার ডক্টর অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় যথার্থই লিখেছেন, আবিষ্কার ও প্রকাশনা ১৯০৯ সালে বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামের বাসিন্দা বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ প্রাচীন পুঁথির অনুসন্ধান করতে গিয়ে ঐ জেলারই বিষ্ণুপুর শহরের নিকটবর্তী কাকিল্যা গ্রামে জনৈক দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রথম শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথি আবিষ্কার করেন। তার গোয়ালঘরের মাঁচায় এই পুথিটি তুলে রাখা ছিল। দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ছিলেন বনবিষ্ণুপুরের মল্লরাজগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের দৌহিত্রের বংশধর। পুথিটির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকূটটি থেকে জানা যায় যে আড়াই শত বছর আগে বিষ্ণুপুরের ‘গাঁথাঘর’ অর্থাৎ রাজগ্রন্থশালায় এটি রাখা ছিল। আদ্যন্ত খণ্ডিত অবস্থায় প্রাপ্ত এই পুথিটি পাতলা তুলোট কাগজে হালকা কালিতে লিখিত এবং এতে তিন প্রকার লিপি দেখা যায় – প্রাচীন লিপি, প্রাচীন লিপির হুবহু অনুকরণ লিপি ও পরবর্তীকালের লিপি। কাব্যের ভাষাও যথেষ্ট প্রক্ষেপমণ্ডিত; বাঁকুড়া-মানভূম-ধলভূমের প্রাচীন এবং অপেক্ষাকৃত আধুনিক উপভাষাগত শব্দের ব্যবহার লক্ষণীয়। পুথির প্রথম দুটি পাতা, মাঝের কয়েকটি ও শেষ পাতাগুলি পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ২৪৩/১ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রোডস্থ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পুথিশালায় এটি রক্ষিত আছে। বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ শিরোনামে পুথিটি সম্পাদনা করেন এবং ঐ বছরেই উক্ত প্রতিষ্ঠান সেটি প্রকাশ করেন। নামকরণ বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ শিরোনামে গ্রন্থটি সম্পাদনা ও প্রকাশ করলেও, এই গ্রন্থের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামকরণ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ আছে। প্রাচীন পুথিগুলিতে সচরাচর প্রথম বা শেষ পাতায় পুথির নাম লেখা থাকে। কিন্তু ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ পুথির ক্ষেত্রে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠা পাওয়া যায়নি। ফলে পুথির নামও অজানাই থেকে যায়। এমনকি পরবর্তীকালের কোনও পুথিতেও বড়ু চণ্ডীদাস বা তার গ্রন্থের কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না। বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় তাই নামকরণকালে পুথির কাহিনি বিচার করে লোকঐতিহ্যের অনুসারে এটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। তার বক্তব্য ছিল, গ্রন্থপ্রকাশের প্রায় ১১ বছর পর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকায় রমেশ বসু সম্ভবত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের নামকরণকেন্দ্রিক বিতর্কের সূত্রপাত ঘটান। এরপর বাংলা সাহিত্যের সারস্বত সমাজে এ-নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্ক উপস্থিত হয়। যাঁরা ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামকরণের বিরোধী ছিলেন, তাদের যুক্তি ছিল দ্বিমুখী। প্রথমত, ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ একটি আদিরসাত্মক অশ্লীল কাব্য – এতে শ্রী বা কীর্তন কোনওটিই উপস্থিত নেই। দ্বিতীয়ত, পুথির সঙ্গে যে চিরকূটটি পাওয়া যায়, তাতে ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ব্ব’ বলে একটি কথা লিখিত আছে। অনেকে মনে করেন গ্রন্থের মূল নাম ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। প্রথম যুক্তিটি আধুনিক কাব্যবিচারের দৃষ্টিতে খুবই দুর্বল; কিন্তু আধুনিক গবেষকগণ দ্বিতীয় দাবিটি প্রসঙ্গেও যথেষ্ট সন্দিহান। এই কারণে অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব করেছেন, কাব্যে কৃষ্ণ শব্দের ব্যবহার নাই বললেই চলে, আছে কাহ্নাঞি শব্দ। সেই সূত্রে কাব্যের নাম "কাহ্নাঞিকীর্তন" করা যেতে পারে। কবি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা বড়ুচণ্ডীদাস। যদিও তার আত্মপরিচয় বা জীবনকথা জাতীয় কিছু পাওয়া যায় না বলে তার প্রকৃত পরিচয় কিছুটা ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। কাব্যে তার তিনটি ভণিতা পাওয়া যায় – ‘বড়ুচণ্ডীদাস’, ‘চণ্ডীদাস’ ও ‘আনন্ত বড়ুচণ্ডীদাস’। এর মধ্যে ‘বড়ুচণ্ডীদাস’ ভণিতা মিলেছে ২৯৮টি স্থানে ও ‘চণ্ডীদাস’ ভণিতা মিলেছে ১০৭ বার। ৭টি পদে ব্যবহৃত ‘আনন্ত’ শব্দটি প্রক্ষিপ্ত বলেই মনে করা হয়। ড. মিহির চৌধুরী কামিল্যা মনে করেন, চণ্ডীদাস তার নাম এবং বড়ু প্রকৃতপক্ষে তার কৌলিক উপাধি বাঁড়ুজ্যে বা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপভ্রংশ। কবি চৈতন্যপূর্ববর্তীকালের মানুষ। সম্ভবত পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে তিনি জীবিত ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে চণ্ডীদাস সমস্যা এবং পদাবলির চণ্ডীদাসকে নিয়ে বাঁকুড়া ও বীরভূমের মধ্যে যত বিবাদই বিদ্যমান থাকুক না কেন, ড. মিহির চৌধুরী কামিল্যা ভাষাতাত্ত্বিক তথ্যপ্রমাণের সাহায্যে প্রমাণ করেছেন, ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রচয়িতা বড়ুচণ্ডীদাস বাঁকুড়া জেলার সদর মহকুমাস্থ ছাতনার অধিবাসী ছিলেন। বড়ুচণ্ডীদাস বাসুলী দেবীর উপাসক ছিলেন এবং দেবীমন্দিরের নিকটবর্তী স্থানে তার 'চিত্রনাটগীতি' পরিবেশনের নাট্যশালা ছিল। এই বাসলী দেবী প্রকৃতপক্ষে শক্তিদেবী চণ্ডী অথবা মনসার অপর নাম। সম্ভবত বাসলী দেবীর বাৎসরিক পূজায় গীত হওয়ার উদ্দেশ্যে দেবীর স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত হয়ে কবি কর্তৃক এই কাব্য রচিত হয়েছিল। তথ্যসূত্র আকর গ্রন্থ চণ্ডীদাস বিরচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ সম্পাদিত, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা বঙ্গাব্দ ১৩৮০ (নবম সংস্করণ) আদিমধ্যযুগের বাংলা ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, কৃষ্ণপদ গোস্বামী, ভারতীভবন, কলকাতা বঙ্গাব্দ ১৩৬৯ চণ্ডীদাস ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, কৃষ্ণপদ গোস্বামী, টি কে ব্যানার্জি, কলকাতা বঙ্গাব্দ ১৩৭৩ বড়ুচণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা ১৩৯৯ বঙ্গাব্দ বড়ুচণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, চিত্তরঞ্জন লাহা, পুস্তকবিপণি, কলকাতা ১৩৯৫ বঙ্গাব্দ বড়ুচণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, প্রদ্যোত সেনগুপ্ত, মিলিসানি, ১৪০০ বঙ্গাব্দ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস বিরচিত, ডঃ মিহির চৌধুরী কামিল্যা, শিলালিপি, শিলালিপি, কলকাতা, ২০০৫ (২য় প্রকাশ) সাহিত্যের ইতিহাস ও অন্যান্য আলোচনা বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, প্রথম খণ্ড, অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, মডার্ণ বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, ২০০৬ বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড, সুকুমার সেন, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ২০০৭ (আনন্দ সংস্করণ, অষ্টম মুদ্রণ) মধ্যযুগের বাংলা নাট্য, সেলিম আল দীন, বাংলা একাডেমী, ঢাকা পাঠক্রমে ভাষা শিক্ষার রুপরেখা বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাংলা সাহিত্য বিষয়শ্রেণী:কৃষ্ণ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
তিন গোয়েন্দা বাংলাদেশের সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত জনপ্রিয় একটি কিশোর গোয়েন্দা কাহিনী সিরিজ। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাস থেকে বিদেশী কাহিনী অবলম্বনে শুরু হয় এই সিরিজটি। প্রথম থেকেই রকিব হাসানই এই বিখ্যাত সিরিজটি লেখার কাজ করেন। রকিব হাসান একটানা ১৬০টি কাহিনী লেখেন। পরবর্তীতে শামসুদ্দীন নওয়াব এটি লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শামসুদ্দীন নওয়াব মূলত একজন গোস্ট রাইটার। 'তিন গোয়েন্দা' তিনজন কিশোর গোয়েন্দার গল্প। তিন গোয়েন্দা পুরোপুরি মৌলিক কাহিনী নয়। ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন গোয়েন্দা কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে রচিত। বিশেষ করে প্রথম দিককার বইগুলো রবার্ট আর্থারের ইংরেজি সিরিজ "থ্রি ইনভেস্টিগেটরস" অবলম্বনে রচিত। আবার কিছু বই এনিড ব্লাইটনের "ফেমাস ফাইভ" অবলম্বনে রচিত। এই তিনজন গোয়েন্দাকে ঘিরেই 'তিন গোয়েন্দা'র শোভন প্রকাশনা বের হয় তিন বন্ধু নামে প্রজাপতি প্রকাশন থেকে। দৈনিক প্রথম আলো পরিচালিত একটি জরিপে বেরিয়ে আসে, বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের পঠিত গল্পের বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বই হচ্ছে 'তিন গোয়েন্দা', আর প্রিয় চরিত্রের মধ্যে আছে যথাক্রমে কিশোর পাশা, রবিন মিলফোর্ড আর মুসা আমান। জরিপে ৪৫০ জনের মধ্যে ৮১ জনই (১৮%) তিন গোয়েন্দার পক্ষে মত দিয়েছে। পরিচিতি তিন গোয়েন্দা সিরিজের বইগুলোর শুরুতেই একটা পরিচিতি দেয়া থাকে, যেটা নতুন পাঠকের জন্য সহায়িকার কাজ করে। সাধারণত পরিচিতিটা এভাবে দেয়া হয়: হ্যাল্লো কিশোর বন্ধুরা— আমি কিশোর পাশা বলছি অ্যামিরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে। হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি। নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি, থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান। ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরান এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। ...টি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি— এসো না, চলে এসো আমাদের দলে। ইতিহাস রকিব হাসানই সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেনকে প্রস্তাব করেন কিশোরদের উপযোগী একটি কাহিনী শুরু করার। সেবা প্রকাশনী থেকে তখন কুয়াশা সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আনোয়ার হোসেনও সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। অবশেষে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তিন গোয়েন্দার প্রথম বই "তিন গোয়েন্দা"। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টানা লিখে যান রকিব হাসান। তারপর এই সিরিজের হাল ধরেন শামসুদ্দিন নওয়াব। এদিকে কাজী শাহনূর হোসেনের পরামর্শে তিন গোয়েন্দার পুরনো বইগুলো প্রকাশিত হতে থাকে ভলিউম আকারে, কয়েকটি বই একসাথে। পুরনো বইগুলো আর আলাদাভাবে বের হয় না। এদিকে শামসুদ্দিন নওয়াব মূল চরিত্রগুলোর পাশাপাশি অন্তর্ভুক্ত করলেন নতুন চরিত্র কাকাতুয়া কিকো। শামসুদ্দিন নওয়াবের রচনায় কাহিনীগুলো ধার করা হয় এনিড ব্লাইটন, ক্রিস্টোফার পাইকসহ আরো অনেক লেখকের বই থেকে। এছাড়া সেবা প্রকাশনীর অন্যান্য সিরিজ যেমন "গোয়েন্দা রাজু", "রোমহর্ষক" আর কাজী শাহনূর হোসেনের লেখা "নীল-ছোটমামা" সমস্ত বইই রূপান্তর করা হয়েছে তিন গোয়েন্দায়। এছাড়াও শামসুদ্দিন নওয়াবের পাশাপাশি রকিব হাসানও মাঝে মাঝে তিন গোয়েন্দা লিখে থাকেন। পৃথিবীর বৃহত্তম সাধারণ-আগ্রহের বাণিজ্যিক প্রকাশনা সংস্থা ‘র‌্যান্ডম হাউস’ কর্তৃক প্রকাশিত মূল ইংরেজি ‘থ্রী ইনভেস্টিগেটরস (১৯৬৪-১৯৮৭)’ সিরিজে ৪৩ টি বই প্রকাশিত হয়েছিল যার মধ্যে ১০টি লেখেন রবার্ট আর্থার, ১৩টি লেখেন উইলিয়াম আর্ডেন যার আসল নাম ছিল মাইকেল কলিন্স, ২টি লেখেন নিক ওয়েস্ট, ১৫টি লেখেন এম ভি ক্যারি বা ম্যারি ভার্জিনিয়া ক্যারি এবং ৩টি লেখেন মার্ক ব্র্যান্ডেল। এই বইগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। একটি জার্মান-দক্ষিণ আফ্রিকান চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা দুটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন- ‘দা থ্রী ইনভেস্টিগেটরস এন্ড দা সিক্রেট অফ স্কেলেটন আইল্যান্ড (২০০৭)’ এবং ‘দা থ্রী ইনভেস্টিগেটরস এন্ড দা সিক্রেট অফ টেরর ক্যাসল (২০০৯)’, যা ব্যপক জনপ্রিয় হয়। চলচ্চিত্র দুটির কাহিনী বই এর থেকে অনেকটা আলাদা এবং আধুনিক সময় এর পটভূমিতে চিত্রিত যেখানে জুপ, পীট এবং বব এর কাছে ‘জিপিএস’, ‘সেলফোন’ এর মত প্রযুক্তি রয়েছে। পরবর্তিতে ‘দা থ্রী ইনভেস্টিগেটরস ক্রাইম বাস্টার্স (১৯৮৯-১৯৯০)’ নামে একটি সিরিজে ১১টি বই প্রকাশিত হয় যার মধ্যে একটি করে লেখেন উইলিয়াম আর্ডেন এবং মার্ক ব্র্যান্ডেল। ক্রাইম বাস্টার্সের অন্যান্য লেখকরা হচ্ছেন- মেগান এবং এইচ উইলিয়াম স্টাইন, জি এইচ স্টোন, উইলিয়াম ম্যাক কে এবং পিটার লের‌্যাঞ্জিস। এনিড ব্লাইটন ২১টি ফেমাস ফাইভ (১৯৪২-১৯৬৩) সিরিজের বই লেখেন যা অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। এই সিরিজের ভিত্তিতে ১৯৭৭ সাল এবং ১৯৯৫ সালে টিভি সিরিজ চিত্রিত হয়েছিল। বর্তমানে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা ‘ফেমাস ফাইভ’ সিরিজের চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। ‘ফেমাস ফাইভ’ সিরিজের দুই ভাই জুলিয়ান, ডিক এবং তাদের বোন অ্যান কে তিন গোয়েন্দার কিশোর, মুসা, রবিন এ পরিবর্তন করা হয়। তিন ভাই-বোনের চাচাত বোন হল জর্জিনা পারকার। এনিড ব্লাইটন ১৫টি সিক্রেট সেভেন (১৯৪৯-১৯৬৩) সিরিজের বই লেখেন যা অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। এছাড়া এভালিন ল্যামান্ড (Evelyne Lallemand) ফ্রেঞ্চ ভাষায় ১২টি সিক্রেট সেভেন (১৯৭৬-১৯৮৪) সিরিজের বই লেখেন যা পরে ইংরেজিতে অনুদিত হয়। গোয়েন্দা রাজু সিরিজ এ সিরিজ অবলম্বনে লেখা যাতে চরিত্রগুলো ছিল- রাজু (তিন গোয়েন্দায় কিশোর, সিক্রেট সেভেনে পিটার), অপু (তিন গোয়েন্দায় মুসা, সিক্রেট সেভেনে জ্যাক), অজিত (তিন গোয়েন্দায় রবিন, সিক্রেট সেভেনে কলিন), টিপু (তিন গোয়েন্দায় বব, সিক্রেট সেভেনে জর্জ), মিশা (তিন গোয়েন্দায় মিশা, সিক্রেট সেভেনে জেনেট), রানু (তিন গোয়েন্দায় ডলি, সিক্রেট সেভেনে প্যাম), অনিতা (তিন গোয়েন্দায় অনিতা, সিক্রেট সেভেনে বারবারা), কুকুর জিমি (তিন গোয়েন্দায় টিটু, সিক্রেট সেভেনে স্ক্যাম্পার), বাবলি (তিন গোয়েন্দায় বাবলি, সিক্রেট সেভেনে সুসি) এবং লুডু (তিন গোয়েন্দায় পটার, সিক্রেট সেভেনে জেফ)। পরবর্তিতে গোয়েন্দা রাজু সিরিজের বইগুলোকে তিন গোয়েন্দায় পরিণত করায় ‘সিক্রেট সেভেন’ সিরিজের বইও তিন গোয়েন্দা সিরিজে অন্তর্ভুক্ত আছে। ‘রোমহর্ষক’ বা রেজা-সুজা সিরিজ লেখা হয়েছে ‘হার্ডি বয়েজ’ সিরিজ অবলম্বনে যেখানে ছেলেরা তিন গোয়েন্দার চেয়ে বয়সে অল্প বড় এবং আপাতদৃষ্টিতে অপেক্ষাকৃত বিপজ্জনক অভিযানে অংশ নেয়। ‘রোমহর্ষক’ সিরিজের বইগুলোও তিন গোয়েন্দায় পরিণত করায়, ‘হার্ডি বয়েজ’ সিরিজের বইও তিন গোয়েন্দা সিরিজে অন্তর্ভুক্ত আছে। ১৯২৭ সাল থেকে আজ (২০১৪) পর্যন্ত ‘হার্ডি বয়েজ’ সিরিজের ৪৮৯ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। শামসুদ্দিন নওয়াবের রচনায় কাহিনীগুলোতে ক্রিস্টোফার পাইকের কিছু বই অবলম্বনে লেখা হয়েছে। ক্রিস্টোফার পাইকের আসল নাম কেভিন ক্রিস্টোফার ম্যাকফাডেন এবং তিনি ১৯৮৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৭৫টি ‘অ্যাডাল্ট ফিকশন’, ভৌতিক এবং ‘ভ্যাম্প্যায়ার’ কাহিনী লেখেন। প্রধান চরিত্রসমূহ তিন গোয়েন্দা বলতেই বোঝায় তিনজন কিশোর, যারা রহস্য সমাধানে প্রচন্ড আগ্রহী, তবে রহস্য সমাধানের পাশাপাশি এডভেঞ্চারও তাদের অন্যতম আকর্ষণ। কিশোর পাশা, মুসা আমান এবং রবিন মিলফোর্ড এই তিনজন কিশোরকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে তিন গোয়েন্দার কাহিনী। মাঝেমধ্যে জর্জিনা পার্কার (সংক্ষেপে 'জিনা') ও তার কুকুর রাফিয়ান (সংক্ষেপে 'রাফি') তাদের অভিযানে সহায়তা করে।এছাড়াও রয়েছে টকার ও নটি। তিন গোয়েন্দা 'গ্রীণ হিলস স্কুল'-এ একই শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। তবে তারা কোন শ্রেণীতে পড়ে, বইতে তার উল্লেখ না থাকায় পাঠক কিশোর-কিশোরীরা তিন গোয়েন্দাকে নিজের শ্রেণীর বলে কল্পনা করে নেয়। কিশোর, মুসা এবং রবিন -তিনজনেই বাস করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার রকি বীচ শহরে। তাদের বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী নিয়েই তিন গোয়েন্দা সিরিজ। কিশোর পাশা কিশোর পাশা তিন গোয়েন্দা সিরিজের প্রধান চরিত্র, গোয়েন্দা প্রধান। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। বাবা জাহেদ পাশা। মাত্র ৭ বছর বয়সে এক ঝড়ের রাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মা-বাবা দুজনেই মারা যান। চাচা রাশেদ পাশা (মূল চরিত্র- টিটাস জোন্স) ও চাচী মারিয়া পাশার (কিশোরদের 'মেরি চাচি', মূল চরিত্র- মাথিল্ডা জোন্স ) কাছেই সে মানুষ হয় (মূল সিরিজে জুপিটারের বাবা মা দুজনেই পেশায় যুগল নৃত্য শিল্পী ছিলেন এবং জুপের ৪ বৎসর বয়সে দুজনে একসাথে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান)। চাচা রাশেদ পাশার একটি স্যালভিজ ইয়ার্ড আছে, নাম "পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ড"। রাশেদ পাশা বিশাল পাকানো গোঁফের অধিকারী। এদিকে কিশোর পাশার কোঁকড়া চুল, গভীর কালো দুচোখে বুদ্ধির ঝিলিক! ক্ষুদ্র জিনিসও তার চোখ এড়ায় না। যে জিনিস একবার দেখে সেটা মনে থাকে দীর্ঘদিন। কিশোর পাশা একজন চমৎকার অভিনেতাও বটে। ছোটবেলায় একটি কমেডি সিরিজে একটা হাসির চরিত্র করেছিলো বলে এখনও সে বেশ লজ্জাবোধ করে (মূল সিরিজে এই অনুষ্ঠানের নাম ‘বেবি ফ্যাটসো’ বা বাংলা সিরিজের ‘পাগল সঙ্ঘ’ বই অনুযায়ী অনুষ্ঠানটির নাম ‘পাগল সঙ্ঘ’ যাতে কিশোরের চরিত্রটি ছিল ‘মোটুরাম’। উল্লেখ্য যে, কিশোর চরিত্রটিকে দেখান হয়েছে সে ছোটবেলায় মোটাসোটা ছিল কিন্তু বর্তমানে আর মোটা নেই। অপরদিকে, মূল সিরিজে জুপিটার সবসময়ই মোটাসোটা, একটু ভারি স্বাস্থ্যের অধিকারী)। ইলেকট্রোনিক্সের কাজে সে বেশ পটু, তাই তাকে "ইলেক্ট্রোনিক্সের যাদুকর"ও বলা হয়। তার মুদ্রাদোষ হলো: গভীর চিন্তামগ্ন অবস্থায় সে ক্রমাগত নিচের ঠোঁটে চিমটি কাটতে থাকে। তাছাড়াও সময় নাহলে কখনোই কাউকে কোনো কিছু বলতে চায় না! কোনো কোনো বইতে তার 'বাঘা','চিতা' এবং 'টিটু' নামে তিনটি কুকুরের নামও পাওয়া যায়। সে সাধারণত মেয়েদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়, তবে পুরো সিরিজে এটা নানাভাবে মেনশন করা হয়েছে যে একমাত্র জিনার সাথেই সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। "থ্রি ইনভেস্টিগেটরস"-এ কিশোর পাশার প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো জুপিটার জোনস (মূল চরিত্র- ডাক নাম জুপ, মূল ইংরেজি সিরিজের প্রচ্ছদ অনুযায়ি জুপ ১৩-১৪ বছর বয়েসি কাল চুলের শেতাঙ্গ আমেরিকান কিশোর। ) । জানা যায়,পাঠকদের মধ্যে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরীরাই "কিশোর "চরিত্র টিকে বেশি পছন্দ করে। মুসা আমান মুসা আমান তিন গোয়েন্দা সিরিজের দ্বিতীয় চরিত্র, গোয়েন্দা সহকারী। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। বাবা-মায়ের সাথে থাকে। বাবা রাফাত আমান হলিউডের বড় টেকনিশিয়ান এবং মা মিসেস আমান গৃহিনী। মুসাকে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করা, লনের ঘাস ছাটা এসব কাজ প্রায়ই করতে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করে আর পেশিশক্তিতে সবল। প্রয়োজনে প্রচন্ড শক্ত মাথা দিয়ে শত্রূর পেটে আঘাত করতে তার জুড়ি নেই। তার মাঝে মাঝেই নানারকম বাতিক জাগে। কিছুদিন পর তা মিটে গেলে আরেকটা শখে মন চলে যায়। তার মুদ্রাদোষ হলো: কথায় কথায় "খাইছে", “সেরেছে ” কিংবা "ইয়াল্লা" বলা। সে একটু ভোজনরসিকও বটে। কিছুটা ভীতু প্রকৃতির, ভূতে তার যত ভয়। তবে বিপদের মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সাহসী হয়ে উঠে মুসা। মুসা মোটামুটির দক্ষতার সাথে বিমান চালাতেও পারে। তবে মুসা বই পড়তে অপছন্দ করে।কিছু গল্পে দেখা যায় মুসার একটি কুকুর আছে যার নাম সিমবা । "থ্রি ইনভেস্টিগেটরস"-এ মুসা আমানের প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো পীট ক্রেনশো (মূল ইংরেজি সিরিজের প্রচ্ছদ অনুযায়ি পীট ১৩-১৪ বছর বয়েসি বাদামী চুলের শেতাঙ্গ আমেরিকান কিশোর। পীট তিন জনের ভিতরে সবচেয়ে লম্বা এবং গঠনে শক্তিশালী)। রবিন মিলফোর্ড তিন গোয়েন্দার নথি গবেষক হিসেবে পরিচিত রবিন মিলফোর্ড। আয়ারল্যান্ডের বংশোদ্ভূত। বাবা রজার মিলফোর্ড একজন সাংবাদিক এবং মা শেলী মিলফোর্ড গৃহিনী,তবে একটি গল্পে দেখা যায় তিনি কিছুদিনের জন্য সাংবাদিকতার চাকরি করেছিলেন। রবিনের কাজ হচ্ছে তিন গোয়েন্দার সকল কেসের রেকর্ড রাখা বা নথি সংরক্ষণ করা। পাহাড়ে চড়ায় সে ওস্তাদ; কয়েকবার পাও ভেঙেছে একারণে। বই পড়তে খুব ভালোবাসে আর বই থেকে দ্রুত উদ্ধৃতি দিতে পারে বলে সে "চলমান জ্ঞানকোষ" হিসেবে পরিচিত। তিন গোয়েন্দার সবার মধ্যে সবচেয়ে কেতাদুরস্ত আর দেখতেও সুন্দর। রবিন রকি বীচ লাইব্রেরীতে একটি খন্ডকালীন চাকরিও করে। কিছুদিন অবশ্য একটি ব্যান্ডের দলের সঙ্গেও কাজ করেছে। তাছাড়া রবিনও বিমান চালাতে পারে, তবে সে অতোটা দক্ষ নয়। দলের অন্যান্য সদস্যের মতো সে কারাতে খেলায় দক্ষ। "থ্রি ইনভেস্টিগেটরস"-এ রবিন মিলফোর্ডের প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো রবার্ট বব এন্ড্রুজ (মূল ইংরেজি সিরিজের প্রচ্ছদ অনুযায়ি বব ১৩-১৪ বছর বয়েসি সোনালী চুলের শেতাঙ্গ আমেরিকান কিশোর, চোখে চশমা পরিধান করে। বব তিন জনের ভিতরে লম্বায় এবং সাইজে সবচেয়ে ছোটখাট)। সহায়ক চরিত্রসমূহ জর্জিনা পারকার ও রাফিয়ান জর্জিনা পারকার, সংক্ষেপে তাকে সবাই ডাকে 'জিনা' বলে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী হ্যারিসন জোনাথন পারকার (মূল চরিত্র- কোয়েন্টিন কিরিন) ও কেরোলিন পারকারের একমাত্র মেয়ে জিনা।প্রথমে জিনা রকি বীচে থাকত না, স্রেফ ছুটি কাটাতে এসে সে তিন গোয়েন্দার সাথে রহস্যোদঘাটনে জড়াত। পরবর্তীতে সে রকি বীচেই স্কুলে ভর্তি হয় (ছুটি গল্প দ্রষ্টব্য)। জিনা পোষা প্রাণীর প্রতি খুব মমতাশীল। 'রাফিয়ান' (মূল চরিত্র- টিমি) নামে তার একটি পোষা কুকুর আছে, যাকে আদর করে সংক্ষেপে 'রাফি' বলে ডাকা হয়। তিন গোয়েন্দার অনেকগুলো তদন্তে সাথে ছিলো রাফিয়ান। জিনা প্রায়ই নিজেকে ছেলেদের সমকক্ষ করে তুলতে ছেলেদের মতো করে ভাবে আর তখন নিজের নাম বলে 'জর্জ গোবেল'। মায়ের থেকে জিনা গোবেল দ্বীপের মালিক।এটির মালিক ছিল মূলত তার নানা। ধারণা করা হয় যে, জিনা চরিত্রটি এনিড ব্লাইটনের "ফ্যামাস ফাইভ" সিরিজের 'জর্জিনা জর্জ কিরিন' চরিত্র থেকে ধার করা হয়েছে। লেখিকা ব্লাইটন প্রকাশ করেন যে, জর্জিনা চরিত্রটি তার নিজের স্বভাবের ছায়া অবলম্বনে রচিত। কাহিনীতে দেখা যায় যে, জর্জিনা বা জর্জ ছেলেমি স্বভাবের, দুঃসাহসী, বদমেজাজি এবং বিশ্বস্ত। সে কিশোরকে কিঞ্চিত পছন্দ করে। জিনার সাথে তিন গোয়েন্দার কাহিনীগুলো হলো ''প্রেতসাধনা'' ''সাগরসৈকত'' ''ছুটি'' ''ছিনতাই'' ''বোম্বেটে'' ''আবার সম্মেলন'' ''গোলাপী মুক্তো'' ''প্রজাপতির খামার'' ''কালো হাত'' ''মূর্তির হুঙ্কার'' ''চিতা নিরুদ্দেশ'' ''অভিনয়'' ''জিনার সেই দ্বীপ'' ''সৈকতে সাবধান'' ''নতুন স্যার'' ''এখানেও ঝামেলা'' ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে, মূল ইংরেজি “দা থ্রি ইনভেস্টিগেটরস" সিরিজ এর পটভূমি মূলত আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের রকি বিচ এলাকা হলেও, ফ্যামাস ফাইভ সিরিজ এর পটভূমি হল দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ড এর ডরসেট কাউন্টি, অন্যান্য ইংলিশ এবং ওয়েলস কাউন্টি এবং সমুদ্র সৈকত এলাকা। অন্যান্য চরিত্রসমূহ ডেভিস ক্রিস্টোফার ডেভিস ক্রিস্টোফার হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যাঁর কাছ থেকে তিন গোয়েন্দার গোয়েন্দাগিরির হাতেখড়ি। (মূল চরিত্র- আলফ্রেড হিচকক) তিনি বাস্তব চরিত্র ছিলেন, তার তৎকালীন খ্যাতির কারণে তার নাম অনেকগুলো বই সিরিজ জনপ্রিয় করতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করা হয়) তিনি হলিউডের বিখ্যাত পরিচালক। প্রথম গল্পে তিন গোয়েন্দা তাকে একটি ভূতুড়ে বাড়ি খুঁজতে সহায়তা করে, সেই থেকে পরিচয়। পরবর্তীতে প্রায়ই নানারকম কেস তিন গোয়েন্দার হাতে গছিয়ে দিয়েছেন। করেছেন অনেক সাহায্যও। এছাড়া তিন গোয়েন্দার প্রায় প্রতিটি কেসের কাহিনী নিয়েই তিনি কিশোর-কিশোরীদের উপযোগী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ভিক্টর সাইমন ভিক্টর সাইমন হলেন একজন পেশাদার প্রাইভেট গোয়েন্দা (মূল চরিত্র- হেক্টর সেবাস্তিয়েন, একজন লেখক, আলফ্রেড হিচকক এর মত বাস্তব চরিত্র নন। সেবাস্তিয়েন তিন গোয়েন্দার কাছ থেকে শুনে তাদের অভি্যান লিপিবদ্ধ করেন)। তিনি বিভিন্ন সময় নিজের কাছে আসা বিভিন্ন ছোটখাটো কেস ধরিয়ে দেন তিন গোয়েন্দাকে। আবার অনেক সময়ই তিনি নিজে তিন গোয়েন্দার সাথে একই কেসে কাজ করেন। এছাড়া বিভিন্ন রহস্যোদঘাটন শেষে তিন গোয়েন্দা তাঁর কাছে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেয়। তিনি খুবই সম্পদশালী ব্যক্তি। ভিক্টর সাইমনের বাসায় একজন ভিয়েতনামী রাঁধুনী আছেন, নাম নিসান জাং কিম, যিনি প্রায়ই উদ্ভট উদ্ভট সব খাবার রান্না করে প্রথমবার মুসাকে দিয়ে চাখিয়ে দেখেন। তার একটি ছোট বিমান আছে। ল্যারি কংকলিন হলো ভিক্টর সাইমনের বিমানের পাইলট। গোয়েন্দাদের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয় "খোঁড়া গোয়েন্দা" বইয়ে। ক্যাপ্টেন ইয়ান ফ্লেচার ক্যাপ্টেন ইয়ান ফ্লেচার হলেন রকি বীচ পুলিশ চীফ (মূল চরিত্র- স্যামুয়েল রেনল্ডস, সবাই ‘চীফ রেনল্ডস’ বলে ডাকে। তিনি ভারি, বিশালদেহী এবং মাথায় হালকা টাক রয়েছে। দ্রষ্টব্যঃ ইংরেজি ‘দ্যা থ্রি ইনভেস্টিগেটরস’ সিরিজের চতুর্থ বই ‘দ্যা মিস্ট্রি অফ দ্যা গ্রীন ঘোস্ট’, লেখক- রবার্ট আর্থার, প্রকাশ- ১৯৬৫ সাল)। তিনি অনেক সময়ই তিন গোয়েন্দাকে বিভিন্ন কেস দিয়ে থাকেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, জটিল নকশার মর্ম উদ্ধার করার জন্য কিশোর পাশার মতো এমন যোগ্য লোক আর তাঁর জানামতে কেউ নেই। ক্যাপ্টেন ইয়ান ফ্লেচারই তিন গোয়ন্দার ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দিয়েছিলেন। তাছাড়া তিনি তিন গোয়েন্দা কে যেকোনো জায়গায় তদন্ত করবার অনুমতি দিয়ে তার নিজের স্বাক্ষর সংবলিত একটি সবুজ কার্ড দিয়েছিলেন। এই কার্ডের মাধ্যমে পরবর্তীতে তিন গোয়েন্দা অনেক সুবিধা পায়। এই সবুজ কার্ডে লেখা আছে- “প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, এই কার্ডের বাহক রকি বীচ পুলিশকে সহায়তাকারী একজন স্বেচ্ছাসেবক জুনিয়র সহকারী ডেপুটি। তাকে যেকোনো সহযোগিতা প্রদান করলে প্রশংসিত করা হবে।” । ওমর শরীফ ওমর শরীফ মিশরীয় বংশোদ্ভুত রোমাঞ্চপ্রিয় দক্ষ বৈমানিক। তিনি চিত্র পরিচালক ডেভিস ক্রিস্টোফারের পছন্দের পাইলট। গায়ে তাঁর বেদুইনের রক্ত, তাই সাহসের কমতি নেই। ওমরের সাথে তিন গোয়েন্দার বেশ কিছু অভিযান রয়েছে, যেমন: জলদস্যুর দ্বীপ ১ ও ২, গোপন ফর্মুলা, দক্ষিণের দ্বীপ, ওকিমুরো কর্পোরেশন ইত্যদি। 'ওকিমুরো কর্পোরেশন' হলো তিন গোয়েন্দা আর ওমর শরীফের সম্মিলিতভাবে খোলা একটি ফ্লাইং ক্লাব, যার 'ও' দ্বারা বোঝায় ওমর, 'কি' দ্বারা কিশোর, 'মু' দ্বারা মুসা আর 'রো' দ্বারা রবিনকে। ধীরে ধীরে ওমর, তিন গোয়েন্দার পছন্দের 'ওমর ভাই' হয়ে যান। চিত্রচোর শোঁপা গোয়েন্দা শোঁপা হচ্ছে ইউরোপের একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা। আর চিত্রচোর শোঁপা হচ্ছে চিত্রকলা চোর (মূল চরিত্র- ভিক্টর হিউজেনে, ফরাসি নাগরিক এবং বিপজ্জনক আন্তর্জাতিক চিত্রকলা চোর)। চমৎকার এই বুদ্ধিমান মানুষটির কিশোরের জন্য রয়েছে অন্যরকম এক শ্রদ্ধা। শোঁপার সাথেও তিন গোয়েন্দার কয়েকটি অভিযান রয়েছে। যেমন: কাকাতুয়া রহস্য, ঘড়ির গোলমাল। শোফার হ্যানসন হ্যানসন (মূল চরিত্র- ওরদিংটন) হচ্ছে "রোলস রয়েস"-এর ব্রিটিশ শোফার। মধ্যপ্রাচ্যের এক শেখের জন্য প্রস্তুত করা হয় এই রোলস রয়েস। কিন্তু তিনি নিতে আপত্তি জানানোয় এর প্রতিষ্ঠান "রেন্ট-এ-কার অটোরেন্টাল কোম্পানী" গাড়িটিকে বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেই প্রতিযোগিতায় বুদ্ধিদীপ্ত জবাব দিয়ে গাড়িটি ৩০দিনের জন্য ব্যবহারের সুযোগ পায় কিশোর পাশা, সেই সুবাদে তিন গোয়েন্দা। সেই গাড়ির চালক হ্যানসন। ৩০ দিনের সুযোগ শেষ হয়ে গেলে অত্যন্ত মূল্যবান "রক্তচক্ষু" পাথর খুঁজে দেবার পর এর মালিক অগাস্ট অগাস্ট তাঁর নামে তিন গোয়েন্দাকে রোলস রয়েস ব্যবহারের অনুমতি এনে দেন। এভাবেই হ্যানসনের সাথে মিত্রতা আরো গভীর হয় তিন গোয়েন্দার। পুরোনো প্রায় সব বইগুলোতেই তাঁকে দেখা যায়; অনেক সময় অনেক কেসে সহায়তাও করে থাকেন তিন গোয়েন্দাকে। ফগর‌্যাম্পারকট হ্যারিসন ওয়াগনার ফগর‌্যাম্পারকট একজন পুলিশ কনস্টেবল। তিন গোয়েন্দা তাকে একবাক্যে "ঝামেলা" বলে সম্বোধন করে থাকে, কেননা তিনি কথা কথায় নাক সিঁটকিয়ে 'ঝামেলা' শব্দটি উচ্চারণ করেন। সাধারণত এই চরিত্রটি প্রজাপতি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত তিন গোয়েন্দার শোভন প্রকাশনা তিন বন্ধু সিরিজে দেখতে পাওয়া যায়। ছোটবেলায় যখন 'গ্রিন হীলস' নামক গ্রামে রবিন, মুসা আর মুসার চাচাতো বোন ফারিয়া থাকতো, কিশোর মাঝে মাঝে সেখানে ছুটি কাটাতে যেতো, তখনকার ঘটনাগুলো সাধারণত তিন বন্ধু সিরিজের মুখ্য বিষয়। তিন বন্ধুর এখানেও ঝামেলা বইতে দেখা যায় ফগর‌্যাম্পারকটকে বদলি করে দেয়া হয়েছে গোবেল বীচে। ববর‌্যাম্পারকট উইলিয়াম ববর‌্যাম্পারকট, তিন বন্ধু সংক্ষেপে যাকে বব বলে ডাকে, ফগর‌্যাম্পারকটের ভাতিজা। কিন্তু তার চাচা ফগের সাথে তার আচরণগত বৈশিষ্টের যথেষ্ট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তিন গোয়েন্দার ভালো বন্ধু; বিভিন্ন কেসে সরাসরি সহায়তা করেছে সে, যদিও চাচা সব সময়ই বিরোধিতা করেছেন এসবের। সাধারণত 'তিন বন্ধু' সিরিজে তাকে দেখতে পাওয়া যায়। টেরিয়ার ডয়েল টেরিয়ার ডয়েল, তিন গোয়েন্দার কাছে শুঁটকি টেরি নামে যে একবাক্যে পরিচিত। টেরিয়ার সব সময়ই ঝামেলা পাকাতে ওস্তাদ। টেরিকে মুসা দুচোখে দেখতে পারে না। শুঁটকি টেরির মূল ধারণাটা নেওয়া হয়েছে থ্রি ইনভেস্টিগেটরস-এর "স্কিনি নরিস" চরিত্রটি থেকে।টেরির একটি নিজস্ব বাহিনী রয়েছে ।তিন গোয়েন্দা এই বাহিনীকে শুঁটকি বাহিনী বলে ডাকে।এই বাহিনীর সদস্যরা হলো টাকি,কডি,ক্যাপ,গ্যারি,নিটু, হ্যারল্ড।টেরির মতো তার বাহিনীও সবসময় তিন গোয়েন্দার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। রোডালিন ওয়ার্নার রোডালিন ওয়ার্নার এর ডাকনাম হল রোডা।সে ভীষণ বদমেজাজি ।সে তিন গোয়েন্দার ডেথ সিটির বন্ধু।সে ভীষণ সাহসী ।তিন গোয়েন্দা যখন ডেথ সিটিতে বেড়াতে আসে তখন রোডা তাদের সাথী হয়।তার সাথে তিন গোয়েন্দার কিছু অভিযান হল হিম পিশাচের কবলে ,ডেথ সিটির দানব ইত্যাদি । মরগ্যান লে ফে মরগ্যান লে ফে হল রাজা আর্থারের সময়্কার এক জাদুকরী লাইব্রেরিয়ান।তিনি জাদুর ট্রী হাউসের প্রধান লাইব্রেরিয়ান।তিন গোয়েন্দা ও জিনা ট্রী হাউসে চড়ে অতীত -ভবিষ্যতে যেতে পারে।পরবর্তীতে তারা মাস্টার লাইব্রেরিয়ান হয়ে ওঠে ।ট্রী হাউসে চড়ে তারা বিভিন্ন অভিযান করে।এর মধ্যে কয়েকটি অভিযান হল ভূতের শহর ,ড্রাগনরাজার দেশে ,চাঁদের মানুষ ,স্বাধীনতা তুমি ইত্যাদি । রেমন রেফটন রেমন হলো তিন গোয়েন্দার একজন বন্ধু ।সে তিন গোয়েন্দার সাথে রকি বিচ স্কুলে একই ক্লাসে পড়ে।সে একজন শক্তিশালী ছেলে।সে রাগবি দক্ষ।সে তিন গোয়েন্দাকে অনেক কেসে সাহায্য করেছে ।তিন গোয়েন্দার অদৃশ্য খুনী, চ্যাম্পিয়ন গোয়েন্দা, মেলায় ঝামেলা বইয়ে রেমনকে দেখা যায়। তিন গোয়েন্দার হেডকোয়ার্টার, উপকরণাদি ও কৌশল হেডকোয়ার্টার তিন গোয়েন্দার হেডকোয়ার্টার বা প্রধানকেন্দ্র বলতে বোঝায় একটি মোবাইল ভ্যান, যা ফেলনা অবস্থায় রাশেদ পাশা দীর্ঘদিন আগে কিনে এনেছিলেন। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের স্তুপের নিচে পড়ে যাওয়ায় বেমালুম ভুলেই গেছেন কিশোরের চাচা। আর সেই সুযোগে বোরিস ও রোভার এর সাহায্যে তিন গোয়েন্দা সেই মোবাইল হোমের ভিতর তৈরি করে নিয়েছে নিজেদের হেডকোয়ার্টার। হেডকোয়ার্টারের স্থান খুব ছোট হলেও এতে রয়েছে ডার্করুম, যেখানে তিন গোয়েন্দা ছবি ওয়াশ করে থাকে; আছে নিজেদের বসার জন্য আলাদা জায়গা; টেলিফোন ও তাতে সংযোগ দেয়া লাল বাতি, যাতে হেডকোয়ার্টারের বাইরে থাকলে ঐ বাতির জ্বলা-নিভা দেখে তারা বুঝে নিতে পারে হেডকোয়ার্টারে টেলিফোন বাজছে; আছে পেরিস্কোপ, তিন গোয়েন্দা যার নাম দিয়েছে "সর্বদর্শন"; তবে "গোরস্তানে আতঙ্ক" বই-এ পেরিস্কোপের জায়গায় সিসি ক্যামেরা দেখা গেছে এছাড়া আছে নিজেদের তদন্ত করা কেস-রিপোর্টগুলো সংরক্ষণের জায়গা। এই গোপন হেডকোয়ার্টারে ঢোকার জন্য তারা তৈরি করে নিয়েছে আলাদা আলাদা গোপন পথ: "সবুজ ফটক এক", "দুই সড়ঙ্গ", "সহজ তিন", "লাল কুকুর চার" হলো সেসব গোপন পথেরই গুপ্ত নাম। কার্ড পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডেই তিন গোয়েন্দা একটি পুরোন ছাপার-যন্ত্রকে সারিয়ে নিয়ে নিজেদের কার্ড ছাপিয়ে নেয়। কার্ডের উপরে শিরোনাম আকারে বড় করে লেখা থাকে "তিন গোয়েন্দা" কথাটি; তার ঠিক নিচেই থাকে তিনটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?); তার নিচে প্রথম সারিতে "গোয়েন্দা প্রধান:কিশোর পাশা", দ্বিতীয় সারিতে "গোয়েন্দা সহকারী:মুসা আমান", তৃতীয় সারিতে "নথি গবেষক: রবিন মিলফোর্ড" লেখা। কার্ডের গায়ে তিনটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেয়ার বুদ্ধিটা কিশোরের। এই তিনটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন একই সাথে তিনজন গোয়েন্দাকে প্রতীকায়িত করবে, আর রহস্যময়তা ও জিজ্ঞাসা ফুটিয়ে তুলবে। এছাড়া এই চিহ্ন (?) তাদের নিজেদের ট্রেডমার্ক হিসেবেও কাজ করে, কেননা যখনই তারা কোথাও বিপদে পড়ে যায়, তখনই এই চিহ্ন এঁকে নিজেদের উপস্থিতি বা অবস্থান জানান দিয়ে থাকে অন্যদের। এভাবে অনেকবারই তারা বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। অবশ্য পরবর্তিতে তিন গোয়েন্দা তাদের কার্ডে প্রশ্নবোধক চিহ্নের স্থলে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন (!) বসিয়ে নেয়। কিশোরের অভিমত, এই চিহ্ন দ্বারা নাকি আরো বেশি রহস্যময়তা ফুটিয়ে তোলা যায়। কার্ডের গায়ে এরকম চিহ্ন দেয়ার ক্ষেত্রে কিশোরের অভিমত হলো, এভাবে নাকি কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় এবং অপরিচিত ব্যক্তি কাছে চিহ্নগুলোর অর্থ বোঝানোর ছলে কিছুক্ষণ অতিরিক্ত সময় বের করে কথা বলা যায়, এতে তদন্তে অনেক সুবিধা হয়। তবে এই সব চিহ্ন অনেকের সন্দেহ জাগানোয় কিশোর কিছু দিনের জন্য চিহ্নগুলো উঠিয়ে দেয়। কৌশল তিন গোয়েন্দার তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো "ভূত-থেকে-ভূতে"। এই পদ্ধতিতে কোনো সন্দেহজনক চরিত্র কিংবা কোনো কিছুর খোঁজ পেতে শহরের ছেলে-মেয়েদের সহায়তা নিয়ে থাকে তিন গোয়েন্দা। এজন্য প্রথমে তিন গোয়েন্দার প্রত্যেক সদস্য তাদের ৫ জন বন্ধুকে ফোন করে কিসের খোঁজ করছে তা জানিয়ে দেয়। যাদেরকে ফোন করেছে তাদের প্রত্যেকে আবার ৫ জন বন্ধুকে ফোন করে এটা জানায়। এই বন্ধুরা ফোন করে তাদের ৫ জন বন্ধুকে। এভাবে শহরের তাবৎ ছেলে-মেয়েরা জেনে যায় খবরটি। ভূত-থেকে-ভূতের সঙ্গে মিল আছে জুপিটার জোনসদের "ঘোস্ট টু ঘোস্ট হুক আপ"। সমালোচনা তিন গোয়েন্দা বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়েছে নানা কারণে। প্রথমত তিন গোয়েন্দা মৌলিক কাহিনী না হওয়ার কারণে সমালোচিত হয়। এছাড়া মাসুদ রানা সিরিজের প্রাথমিক বদনামের প্রেক্ষিতে 'প্রজাপতি' প্রকাশনীর বই অনেক পরিবারে নিষিদ্ধ হয়ে যায় বলে তিন গোয়েন্দাও অনেক অভিভাবকের নজরে নেতিবাচক হয়ে ওঠে। তিন গোয়েন্দা সিরিজের বই তিন গোয়েন্দা সিরিজের ৩০০'রও বেশি বই বেরিয়েছে। তন্মধ্যে মাত্র তিনটি উপন্যাস আর বাকি সবগুলোই বড় গল্প। উপন্যাসগুলো আলাদা আলাদা বইতে দুই খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত প্রতিটা বইই পেপারব্যাক, এবং দাম কম। তবে প্রজাপতি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইগুলো শোভন এবং হার্ডকভারে, আর এগুলোর দামও তুলনামূলক বেশি। তিন গোয়েন্দা সিরিজ প্রথমে সব বই একক বই হিসেবে প্রকাশিত হত। রকিব হাসান প্রথম ১৬০টি তিন গোয়েন্দা রচনা করেন। তারপর ২১৫ নং পর্যন্ত তিন গোয়েন্দা রচনা করেন শামসুদ্দীন নওয়াব। এরপর থেকে তিন গোয়েন্দার একক বই প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায় এবং তিনটি একক বই একত্র করে ভলিউম আকারে প্রকাশ হয়। এ ভলিউমগুলোতে তিন গোয়েন্দা সিরিজ ছাড়াও রকিব হাসান রচিত তিন বন্ধু সিরিজের সকল বই (তিন গোয়েন্দার ছোটবেলার গ্রীনহিলসের কাহিনী), আবু সাঈদ (রকিব হাসানের ছদ্মনাম) রচিত গোয়েন্দা রাজু সিরিজের সকল বই, জাফর চৌধুরী (রকিব হাসানের ছদ্মনাম) রচিত অ্যাডভেঞ্চার সিরিজের কয়েকটি বই ও রোমহর্ষক সিরিজের সকল বই, টিপু কিবরিয়া রচিত কিশোর হরর সিরিজের কয়েকটি বই এবং কাজী শাহনূর হোসেন রচিত নীল-ছোটমামা সিরিজের সকল বই তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে প্রকাশ করা হয়। তিন গোয়েন্দায় রূপান্তরিত অন্যান্য সিরিজ গোয়েন্দা রাজু গোয়েন্দা রাজু বাংলাদেশের সেবা প্রকাশনী হতে প্রকাশিত একটি কিশোর গোয়েন্দা কাহিনী সিরিজ। এ সিরিজের লেখক আবু সাঈদ যা রকিব হাসান-এর ছদ্মনাম। গোয়েন্দা রাজু মোট সাত জন সদস্য নিয়ে একটি গোয়েন্দা দল গঠন করে, দলের নাম দেয়া হয় গোপন রহস্যভেদী দল সংক্ষেপে রদল। কিন্তু কেউ যাতে না বুঝতে পারে তাই রদল-এর পরের অক্ষরগুলো নিয়ে সাঙ্কেতিক ভাবে দলের নাম করা হয় লধশ। বইগুলো মূলতঃ এনিড ব্লাইটন ও পরবর্তীতে এভালিন ল্যামান্ড রচিত 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজের ভাবানুবাদ। এনিড ব্লাইটন ১৫টি সিক্রেট সেভেন (১৯৪৯-১৯৬৩) সিরিজের বই লেখেন। এছাড়া এভালিন ল্যামান্ড (Evelyne Lallemand) ফ্রেঞ্চ ভাষায় ১২টি সিক্রেট সেভেন (১৯৭৬-১৯৮৪) সিরিজের বই লেখেন যা পরে ইংরেজিতে অনুদিত হয়। গোয়েন্দা রাজু সিরিজের বইসমূহ মামার মন খারাপ - ছোট্ট ছেলে রাজু। ওর শখ- মস্তবড় গোয়েন্দা হবে, মামার মতো। পাখির বাসার নিচে এক অদ্ভুত মেসেজ কুড়িয়ে পেল রাজুর সহকারী অপু, তাতে লেখা: গভীর রাতে আলোর সঙ্কেত দেখানো হবে পোড়া বাড়ির টাওয়ার থেকে। মামাকে নিয়ে চললো ওরা গা-ছমছমে পোড়া বাড়িতে। ওখানে মাটির নিচে ঘরে নাকি মাঝে মাঝেই ভূত দেখে লোকে। রাতের অন্ধকারে নাকি ছায়ার মতো ঘুরে বেড়ায় কারা! আমরা জানি এ-সবই রাজু আর অপুর বানানো গল্প। কিন্তু সত্যিই যখন এক রাতে টাওয়ার থেকে এলো রহস্যময় আলোর সঙ্কেত, তখন? চমকে উঠল দুই বন্ধু। আরে, ব্যাপার কী? বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে পোড়াবাড়ির রহস্য নামে ভলিউম ৭৬-এ যোগ করা হয়। সাবাস! - পরামর্শটা মামাই দিয়েছেন: চেষ্টা করলে ভালো গোয়েন্দা হতে পারবি তুই, রাজু। একটা রহস্যভেদী দল গড়ে ফেল। সাতজন মিলে ওরা দল তো গড়লো, 'রদল' বদলে সাঙ্কেতিক নাম রাখলো 'লধশ'। কিন্তু তারপর? রহস্য পাবে কোথায়? গরমের জন্য হেড কোয়ার্টার করা হলো গাছের উপরে। কিন্তু অন্য কেউও এটা ব্যবহার করছে, কে সে? বইটি 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর তৃতীয় গল্প 'ওয়েল ডান সিক্রেট সেভেন' এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে ঝড়ের বনে নামে ভলিউম ৬২-এ যোগ করা হয়। বিরোধী দল - লধশদের দেখাদেখি অপুর বোন বাবলিও গোয়েন্দা দল খুলেছে। তাদেরকে বোকা বানাতে বাবলি গোপন মিটিং করে, যা শুনে লধশরা জিগার বার্নে যায়। কিন্তু যখন লধশেরা রেলওয়ে স্টেশনে আসে, ঘটনা বিপদজনক হয়ে উঠে। বইটি 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর চতুর্থ গল্প 'সিক্রেট সেভেন অন দ্য ট্রেইল' এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে বাবলি বাহিনী নামে ভলিউম ৬৮-এ যোগ করা হয়। দামী কুকুর - যখন লধশরা গোপনে মানুষের পিছু নেয়া অনুশীলন করছিল, বব ধরা পড়ে যায় আর তার বাবা তাকে লধশ থেকে বের করে নেয়। এলাকায় হঠাৎ করে দামী কুকুরগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। লধশেরা কুকুর চোরকে ধরার অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। বইটি 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর পঞ্চম গল্প 'গো এহেড সিক্রেট সেভেন' এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে হারানো কুকুর নামে ভলিউম ৬৭-এ যোগ করা হয়। হিপ হিপ হুররে - অন্ধকারে ভালো দেখা যায় না। রাজু মনে করলো, তার আব্বাই উঠেছেন গাড়িতে। চলতে শুরু করলো গাড়ি। একটা লাইট পোস্টের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চমকে উঠলো রাজু। কে লোকটা? তার বাবা তো নয়। দ্বিতীয় লোকটাকেও দেখেনি সে কোনদিন। পেটের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো রাজুর। ভয় পেলে এরকম অনুভূতি হয় মানুষের। ভাবলো, কারা ওরা? গাড়ি চোর? কি করবে এখন সে? বইটি 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর ষষ্ঠ গল্প 'গুড ওয়ার্ক সিক্রেট সেভেন' এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে গাড়ি চোর নামে ভলিউম ৮২-এ যোগ করা হয়। চকলেট কোম্পানী - টেলিভিশনে খবর শুনে একেবারে তাজ্জব হয়ে গেল গোয়েন্দারা। আশ্চর্য খবর। অনিতা বললো, 'আমি শুনেছি, ভিনগ্রহ থেকে আসে ইউ এফ ও। কোনোটা পিরিচের মতো, কোনোটা গরুর গাড়ির চাকার মতো...' শহরের সবাই চমকে গেছে। মাঝে মাঝেই নাকি ওখানকার আকাশে দেখা যাচ্ছে অপিরিচিত আকাশযান। তবে কি পৃথিবীর মানুষকে আক্রমণের জন্যে দল বেঁধে এসে চড়াও হয়েছে মঙ্গলগ্রহবাসীরা? তদন্ত করে দেখতে চললো রাজু গোয়েন্দার দল। এভালিন ল্যামান্ড-এর ফরাসি ভাষায় রচিত 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর সপ্তম গল্প 'Les Sept et les soucoupes volantes' এর ইংরেজি অনুবাদ 'দি সেভেন অ্যান্ড দি ইউএফওস'-এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে ইউএফও রহস্য নামে ভলিউম ৬১-এ যোগ করা হয়। নতুন হেডকোয়ার্টার - ছাউনি মেরামতের কাজ চলছে। তাই লধশেরা বাধ্য হলো হেডকোয়ার্টার পরিবর্তনে। খুব সুন্দর একটি গোপন গুহায় হেডকোয়ার্টার বানানো হল। কিন্তু এখান থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খাবার, বই এমনকি গদি পর্যন্ত। অন্যকেউ নিশ্চিতভাবে ব্যবহার করছে ওদের হেডকোয়ার্টার। বইটি 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর সপ্তম গল্প 'সিক্রেট সেভেন উইন থ্রু' এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে গুহা-রহস্য নামে ভলিউম ৮৩-এ যোগ করা হয়। সার্কাস - গুলির পরপরি শোনা গেল অনেকগুলো কিঁচ কিঁচ শব্দ, মাটিতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ল রাজু, টিপু আর রানু। পারলে মাটির ভেতরে ঢুকে যেতে চায়। আর গুলি হলো না। কিন্তু ওটা কিসের শব্দ? মাটিতে পা ঘষার মত না? নাকি ভূট্টা খেতে হাটাহাটি করছে কিছু? শোনা গেল তীক্ষ্ণ চিতকারঃ মেরেছি! মেরেছি! লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল তিনজনে। ফোপাতে শুরু করলো রানু, 'হায়-হায়রে! মেরেই ফেললো!' বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে সিংহ নিরুদ্দেশ নামে ভলিউম ৭৫-এ যোগ করা হয়। খেলনা বিমান - বিশাল নির্জন প্রাসাদের প্রতিটি ঘরে তালা। কারও ঢোকার উপায় নেই। সে জন্যই, যখন ব্যালকনি ঘরের ভেতর আলো জ্বলতে দেখা গেল, চমকে গেল রাজু। তদন্ত শুরু হতেই ঘটতে থাকলো একের পর এক রহস্যময় ঘটনা। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে দুখী মানুষ নামে ভলিউম ৬৯-এ যোগ করা হয়। সোনার মেডেল - চুরি গেছে সোনার মেডেল। দুঃখে ভেঙে পড়েছেন বেচারা বৃদ্ধ জেনারেল। দেখে সইতে পারলো না অজিত, কথা দিয়ে ফেললো: ওগুলো উদ্ধার করে দেবে সে। কি আর করা, কথা তো আর ফিরিয়ে নেয়া যায় না - কাজে নেমে পড়লো লধশ-রা...। বইটি 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর চতুর্দশ গল্প 'লুক আউট সিক্রেট সেভেন' এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে 'মেডেল রহস্য' নামে ভলিউম ৫৯-এ যোগ করা হয়। সুরের নেশা - লধশদের চোখের সামনে একটি বাড়ি পুড়ে গেল। তার কয়েক দিন পর, দোকান থেকে একটি বেহালা চুরি হলো। দুটি ঘটনা কি সম্পর্কযুক্ত? বইটি 'দি সিক্রেট সেভেন'-এর দশম গল্প 'পাজল ফর দ্য সিক্রেট সেভেন' এর ভাবানুবাদ। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে সুরের মায়া নামে ভলিউম ৫৮-এ যোগ করা হয়। আজব ভূত - রানু রাস্তায় হঠাৎ করে পেয়ে যায় একটা চিরকুট যাতে সংকেত লেখা ছিল। সংকেতের অর্থ উদ্ধার করতে গিয়ে বাবলিদের কাছে বারবার বোকা বনে যায় লধশেরা। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে ভূতের খেলা নামে ভলিউম ৫৭-এ যোগ করা হয়। আজব রশ্মি - 'আজব ভূত' রহস্যের সমাধানের পর পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর। অনেক পরিবর্তন হয়েছে, ভেঙে গেছে রহস্যভেদী দল - লধশ। প্রধান কারণ, রানু আর অনিতারা চলে গেছে অন্য জায়গায়। বাবলি আর অপুরাও জায়গা বদল করেছে। তবে রাজুদের সঙ্গে দেখা হয় মাঝে মাঝে। এক ছুটিতে পাহাড়ঘেরা লেক ডিস্ট্রিক্ট-এ বেড়াতে এলো অপু, বাবলি, মিশা, রাজু আর জিমি। হঠাৎ করেই পেয়ে গেল রহস্য। জানলো, নতুন আবিষ্কৃত একটা যন্ত্র গিয়ে পড়েছে খারাপ লোকের হাতে। তাদের মধ্যে রয়েছে নিষ্ঠুর খুনী আর খেপাটে বিদেশী গুপ্তচর। ওরা মারাত্মক ক্ষতি করে দেবার আগেই হস্তক্ষেপ করলো চার গোয়েন্দা। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে অদৃশ্য রশ্মি নামে ভলিউম ৮০-এ যোগ করা হয়। জাহাজ চুরি - ডবিমুর গাঁয়ে নিতুদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে রাজু, মিশা আর অপু। সেখান থেকে নৌকা নিয়ে পিকনিক করতে চললো ডল আইল্যান্ডে। প্রচন্ড ঝড় উঠলো সাগরে। ভেঙে পড়তে লাগলো পাহাড়ের দেয়াল। পানিতে কালো বিশাল ছায়াটা দেখে চমকে উঠলো গোয়েন্দারা। ওটা কি? ডুবুরির পোষাক পড়ে পানিতে নামলো রাজু। তাকে পেটে নিয়ে পিছলে নেমে যেতে লাগলো ওটা। তলিয়ে যাচ্ছে গভীর পানিতে...। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে হারানো জাহাজ নামে ভলিউম ৪৮-এ যোগ করা হয়। নকশা পাচার - বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে খেলনা ভালুক নামে ভলিউম ৫০-এ যোগ করা হয়। টাকের ওষুধ - 'কপাল!' অবাক হয়ে বললো নিতু। 'মানুষের কপাল ছোট করা যায় না!' 'যায় না, আমিও জানি', রাজু বললো। 'কিন্তু আজকে আমার কাছে ছোট লেগেছে।' 'এ হতেই পারে না!' 'কিন্তু হয়েছে!' নিজের কথায় অটল রইলো রাজু। 'কপালটাই প্রথমে চোখে পড়েছিল আমার। বিশাল। অনেক উপরে চুল। অথচ আজ অনেক নিচে নেমে এসেছে। যেন রাতারাতি চুল গজিয়ে ঢেকে দিয়েছে কপাল।' 'কি জানি, আমাজনের নরমুন্ডু শিকারীদের পাল্লায় পড়েছিল হয়তো।' অপু বললো, 'চামড়া আর হাড় নরম করে ছোট করে দেয়ার কায়দা জানে ওরা। তা-ই করে দিয়েছে।' আজব এক রহস্যে জড়িয়ে পড়েছে রাজু গোয়েন্দার দল। সমাধান করা তো দূরের কথা, কি যে ঘটছে সেটাই বুঝতে পারছে না। তবে হাল ছাড়লো না ওরা...। বইটি পরে তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে টাক রহস্য নামে ভলিউম ৫৫-এ যোগ করা হয়। প্রধান চরিত্রসমূহ রাজু - লধশের নেতা এবং গ্রুপের সবথেকে বুদ্ধিমান সদস্য। পুরো নাম আসিফ খান।'দি সিক্রেট সেভেন'-সিরিজে রাজুর প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'পিটার'। মিশা - রাজুর বোন। পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুবই ভাল, একবার দেখেই মনে রাখতে পারে। গ্রুপের মেয়েদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপুর্ন চরিত্র। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে মিশার প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'জেনেট'। অপু - রাজুর সবচেয়ে কাছের বন্ধু। প্রায়ই পাসওয়ার্ড ভুলে যায়। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে অপুর প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'জ্যাক'। রানু - মিশার বান্ধবী। রানু আর অনিতা পরস্পরের খুবই কাছের বন্ধু। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে রানুর প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'প্যাম'। অনিতা - রানুর বান্ধবী। সবসময় রানু ও অনিতা একসাথে থাকতে দেখা যায়। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে অনিতার প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'বারবারা'। অজিত - রাজুর সহপাঠী। গ্রুপে সবথেকে চুপচাপ। অন্ধকারকে দারুন ভয় পায়। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে অজিতের প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'কলিন'। টিপু - রাজুর সহপাঠী, অজিতের প্রিয় বন্ধু। তার বাবা একবার তাকে লধশ থেকে বের করে নেয়। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে টিপুর প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'জর্জ'। জিমি - রাজু আর মিশার পালিত প্রশিক্ষিত কুকুর। খেতে খুব পছন্দ করে। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে জিমির প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'স্ক্যাম্পার'। বাবলি - অপুর বুদ্ধিমতী ছোট বোন। লধশের কাজে প্রায়ই বাধার সৃষ্টি করে। কোন কোন গল্পে লধশদের সাথি হিসেবে থাকে এবং তাদের সাহায্য করে। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে বাবলির প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'সুসি'। লুডু - বাবলির বান্ধবী। 'দি সিক্রেট সেভেন' সিরিজে লুডুর প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'জেফ'। নিনা - অপুর খালাতো বোন। আশরাফ চৌধুরী - রাজু ও মিশার বাবা। 'দি সিক্রেট সেভেন'-সিরিজে প্রতিসঙ্গী চরিত্র হলো 'জ্যাক দ্য ফার্মার'। তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর তিন গোয়েন্দায় ভাল মানের কাহিনির অভাবে এবং রকিব হাসান তিন গোয়েন্দা লেখা ছেড়ে দেওয়ায় সেবা প্রকাশনীর অন্যান্য অনেক সিরিজের মত গোয়েন্দা রাজুর সকল বই তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করা হয় এবং তিন গোয়েন্দা ভলিউমে যোগ করা হয়। রাজু তিন গোয়েন্দায় কিশোর, অপু তিন গোয়েন্দায় মুসা, অজিত তিন গোয়েন্দায় রবিন, টিপু তিন গোয়েন্দায় বব, মিশা তিন গোয়েন্দায় মিশা, রানু তিন গোয়েন্দায় ডলি, অনিতা তিন গোয়েন্দায় অনিতা, কুকুর জিমি তিন গোয়েন্দায় টিটু, বাবলি তিন গোয়েন্দায় বাবলি এবং লুডু তিন গোয়েন্দায় পটার চরিত্র হিসেবে স্থান পায়। টেলিভিশনে তিন গোয়েন্দা ২৭ অক্টোবর ২০১৪ থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতি মঙ্গল ও বুধবার রাত আটটায় তিন গোয়েন্দা ধারাবাহিকের প্রচার শুরু হয়। এর কাহিনি বিন্যাস ও নাট্যরূপ দিয়েছেন মাজহারুল হক পিন্টু। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন আবুল হোসেন খোকন। কিশোর পাশার চরিত্রে কাব্য সাগর নুরুল মোমেন, রবিন মিলফোর্ড চরিত্রে বাঁধন এবং মুসা আমান চরিত্রে অয়ন অভিনয় করেছেন। নাটকটি চিত্রায়িত হয়েছে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন লোকেশনে। বহিঃসংযোগ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:অপরাধ উপন্যাস ধারাবাহিক বিষয়শ্রেণী:বাংলা সাহিত্যের কাল্পনিক চরিত্র বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ বিষয়শ্রেণী:গোয়েন্দা কথাসাহিত্য বিষয়শ্রেণী:সেবা প্রকাশনী
তিন গোয়েন্দা
দহগ্রাম ইউনিয়ন বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার একটি ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ছিটমহল, যা ভারতের মূল ভূখন্ডের মধ্যে অবস্থিত। এর তিন দিকে ভারতের কুচবিহার জেলা, একদিকে তিস্তা নদী, নদীর ওপারেও ভারতীয় ভূখণ্ড। ভৌগলিক কারণে এটি দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ছিটমহল নামেই বেশি পরিচিত। এ ইউনিয়নের মোট আয়তন ২২.৬৮ বর্গ কিমি. ও মোট জনসংখ্যা প্রায় ২০,০০০ জন। ১৯৮৫ সালে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল একত্রে পাটগ্রাম উপজেলার একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন (দহগ্রাম ইউনিয়ন) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ আগস্টে এখানে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্বোধন করা হয়। ইতিহাস thumb|তিনবিঘা করিডোরের প্রবেশপথ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাগের সময় তদানিন্তন বাংলা প্রদেশটি ব্রিটিশ শাসকেরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ করে দেয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে দহগ্রাম, যা ভারতীয় ভূখন্ড দ্বারা চারিদিকে পরিবেষ্ঠিত, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে পড়ে। এটি ছিল ভারতে অবস্থিত পাকিস্তানের বৃহত্তম ছিটমহল। ১৯৫৩ সালের পূর্বে পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, দহগ্রাম পূর্ব পাকিস্তানের মূল ভূখন্ডের সাথে সরাসরি ভাবে যুক্ত। কিন্তু মানচিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, এটি পূর্ব পাকিস্তান সীমান্ত হতে প্রায় ৮৫ মিটার পশ্চিমে অবস্থিত। তখন থেকে এটি দুই দেশের মধ্যকার বিরোধের অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ছিট মহল সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনের জন্য চুক্তি হয়। কিন্তু এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয় নাই, এবং দহগ্রাম সংক্রান্ত বিবাদ এখন পর্যন্ত বিরাজমান থেকে যায়। ১৯৮২ সালে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ১৯৯২ সালে বাস্তবায়িত হয়। এই চুক্তি অনুসারে ভারত, দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাবাসীদের বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আয়তনের একটি ভূমি বাংলাদেশকে ইজারা হিসেবে দেয় যা বর্তমানে তিনবিঘা করিডোর হিসেবে খ্যাত। পূর্বে করিডোরটি দিনের ১২ ঘণ্টা সময়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হত, এতে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার অধিবাসীদের কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হত কারণ সেসময় সেখানে কোন হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। ২০১১ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার একটি চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে করিডোরটি ২৪ ঘণ্টাই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালের ১৯শে অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে করিডোরটি উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। অবকাঠামো ২০১১ সালের পূর্বে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাতে কোন হাসপাতাল বা কলেজ ছিল না। ২০১১ সালের ১৯শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দহগ্রামে একটি দশ শয্যার হাসপাতাল ও দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উদ্বোধন করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ছিট মহল বিষয়শ্রেণী:পাটগ্রাম উপজেলার ইউনিয়ন
দহগ্রাম ইউনিয়ন
সুনামগঞ্জ সদর বাংলাদেশ এর সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ইতিহাস এই উপজেলাটির উত্তরে ভারত, পূর্বে দোয়ারাবাজার উপজেলা ও ছাতক উপজেলা, দক্ষিণে - দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা ও দিরাই উপজেলা এবং পশ্চিমে জামালগঞ্জ উপজেলা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা। জনসংখ্যার উপাত্ত জনসংখ্যা: ২৪,৬৭,৯৬৮ জন। (আদমশুমারী ২০১১) পুরুষ: ১২,৩৬,১০৬ জন। মহিলা: ১২,৩১,৮৬২ জন। প্রশাসনিক এলাকা সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম সুনামগঞ্জ সদর থানার আওতাধীন। পৌরসভা: সুনামগঞ্জ ইউনিয়নসমূহ: ১নং রংগারচর ২নং গৌরারং ৩নং মোহনপুর ৪নং লক্ষণশ্রী ৫নং কুরবাননগর ৬নং মোল্লাপাড়া ৭নং জাহাঙ্গীরনগর ৮নং সুরমা ৯নং কাঠইর শিক্ষা সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ সুনামগঞ্জ নার্সিং ইনষ্টিটউট সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ সুনামগঞ্জ পৌর কলেজ আলহাজ মতিউর রহমান কলেজ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ সরকারি সতিশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এইচ.এম.পি উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ আলহেরা জামেয়া ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা দ্বীনি সিনিয়র মডেল মাদরাসা সুনামগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ বুলচান্দ উচ্চ বিদ্যালয় নর্থ ইস্ট আইডিয়াল কলেজ সুনামগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় লবজান চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সুনামগঞ্জ ইয়াকুবিয়া দাখিল মাদরাসা মীরেরচর, মঙ্গলকাটা নারায়নতলা মিশন উচ্চ বিদ্যাল, নারায়নতলা মঙ্গলকাটা উচ্চ বিদ্যালয় কৃষ্ণনগর হোসেনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সৈয়দপুর মডেল হাই স্কুল চৌদ্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় রঙ্গারচর হরিনাপাটি উচ্চ বিদ্যালয় অর্থনীতি মৎস পাথর ধান সুনামগঞ্জের প্রাণ বিবিধ ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য গৌরারং জমিদার বাড়ি হাসনরাজা মিউজিয়াম হাসনরাজার তোরন হাসনরাজার সমাধি সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর ডলুরা শহীদ সমাধি রিভার ভিউ সুরমা ভ্যালি পার্ক সুনামগঞ্জ পুরাতন পৌরসভা শাপলা চত্বর সুরমা নদীর আবদুজ জহুর সেতু হাসাউড়া আনারস বাগ আরও দেখুন সুনামগঞ্জ জেলা; সিলেট বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:সুনামগঞ্জ জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:সিলেট বিভাগের উপজেলা
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা
হরিরামপুর বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান এই উপজেলার উত্তরে ঘিওর উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে সিঙ্গাইর উপজেলা এবং ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে শিবালয় উপজেলা। ইউনিয়ন চালা ইউনিয়ন বয়ড়া ইউনিয়ন, হরিরামপুর কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন, হরিরামপুর ধূলশুড়া ইউনিয়ন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন, হরিরামপুর আজিমনগর ইউনিয়ন বলড়া ইউনিয়ন লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন গোপীনাথপুর ইউনিয়ন, হরিরামপুর সুতালড়ী ইউনিয়ন গালা ইউনিয়ন হারুকান্দি ইউনিয়ন বাল্লা ইউনিয়ন হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মানিকগঞ্জ জেলা; ঢাকা বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:হরিরামপুর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:মানিকগঞ্জ জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিভাগের উপজেলা
হরিরামপুর উপজেলা
শতমূলী ইং: Asparagus সব্জি হিসাবে ব্যবহৃত একবীজপত্রী উদ্ভিদ। পুঁথির মালার মত গাঁটযুক্ত সঞ্চয়ী গুচ্ছমূলবিশিষ্ট -তাই নাম শতমূলী। thumb|শতমূলী বিষয়শ্রেণী:সবজি az:Dərman qulançarı ba:Себен үләне bg:Аспержа bo:འདམ་མྱུག ca:Espàrrec co:Asparagus officinalis cs:Chřest lékařský da:Almindelig Asparges de:Gemüsespargel el:Σπαράγγι en:Asparagus eo:Asparago es:Asparagus officinalis et:Harilik aspar eu:Zainzuri fa:مارچوبه fi:Parsa fr:Asperge frr:Spargel gv:Asparag he:אספרגוס hi:शतावर hr:Šparoga hsb:Prawy hromak hu:Közönséges spárga io:Asparago it:Asparagus officinalis kk:Қояншөп kn:ಶತಾವರಿ ko:아스파라거스 ku:Kilig li:Asperge lt:Vaistinis smidras lv:Sparģeļi ml:ശതാവരി mr:अस्पॅरॅगस my:ကညွတ်ပင် myv:Ведунтикше nap:Asparagus officinalis nl:Asperge no:Asparges nv:Chʼałdą́ą́ʼ / Jádí nátʼoh (chʼil daadánígíí) pcd:Aspérjhe pl:Szparag lekarski pt:Asparagus officinalis qu:Isparaw ro:Sparanghel ru:Спаржа лекарственная rw:Asiperije scn:Asparagus officinalis sh:Špargla sq:Shpargulli mjekësor sr:Шпаргла sv:Sparris ta:சாத்தாவாரியினம் tl:Esparago uk:Аспарагус садовий ur:ہلیون vec:Spàraxo vi:Măng tây wa:Aspedje zh:芦笋 zh-yue:露筍
শতমূলী
উইলিয়াম অলিভার স্টোন (জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬) হলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, ও লেখক। স্টোন মিডনাইট এক্সপ্রেস (১৯৭৮) চলচ্চিত্রের লেখনীর জন্য শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত চিত্রনাট্য বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি নন্দিত গ্যাংস্টার চলচ্চিত্র স্কারফেস (১৯৮৩) রচনা করেছেন। স্টোন যুদ্ধভিত্তিক নাট্যধর্মী প্লাটুন (১৯৮৬) চলচ্চিত্র রচনা ও পরিচালনার জন্য প্রসিদ্ধি অর্জন করেন, ছবিটি শ্রেষ্ঠ পরিচালনা ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে। প্লাটুন হল ভিয়েতনাম যুদ্ধভিত্তিক ত্রয়ী চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের প্রথম কিস্তি। এর পরবর্তী দুটি কিস্তি হল বর্ন অন দ্য ফোর্থ অব জুলাই (১৯৮৯), যার জন্য স্টোন শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে তার দ্বিতীয় অস্কার অর্জন করেন এবং হেভেন অ্যান্ড আর্থ (১৯৯৩)। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল সালভাদোরীয় গৃহযুদ্ধভিত্তিক সালভাদোর (১৯৮৬), আর্থিক নাট্যধর্মী ওয়াল স্ট্রিট (১৯৮৭) ও এর ২০১০ সালের অনুবর্তী পর্ব মানি নেভার স্লিপস, জিম মরিসনের জীবনীমূলক দ্য ডোরস (১৯৯১), ব্যঙ্গাত্মক ব্ল্যাক কমেডি অপরাধমূলক ন্যাচারাল বর্ন কিলার্স (১৯৯৪), এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতিত্ব নিয়ে ত্রয়ী চলচ্চিত্র - জেএফকে (১৯৯১), নিক্সন (১৯৯৫) ও ডব্লিউ (২০০৮)। তার সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র হল স্নোডেন (২০১৬)। প্রাথমিক জীবন লেখনী ও পরিচালনা পেশাজীবন thumb|220px|উইলিয়াম অলিভার স্টোন প্রামাণ্যচিত্র ব্যক্তিগত জীবন রাজনৈতিক সমর্থন উইকিলিকস চলচ্চিত্রের তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৪৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর মার্কিন লেখক বিষয়শ্রেণী:ইহুদি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ফরাসি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ভিয়েতনাম যুদ্ধের মার্কিন সেনা কর্মকর্তা বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:মার্কিন বৌদ্ধ বিষয়শ্রেণী:মার্কিন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা বিষয়শ্রেণী:মার্কিন পুরুষ চিত্রনাট্যকার বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত চিত্রনাট্য বিভাগে একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পরিচালক - চলচ্চিত্র) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা চিত্রনাট্যকার) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে বাফটা পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে রৌপ্য ভল্লুক বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ডিরেক্টরস গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:স্যাটেলাইট পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:সম্মানসূচক স্বর্ণ ভল্লুক প্রাপক বিষয়শ্রেণী:ম্যানহাটনের ব্যক্তি
অলিভার স্টোন
সন্ন্যাসী রাজা (১৯৭৫): পীযূষ বসু পরিচালিত এবং উত্তম কুমার অভিনীত একটি বিখ্যাত ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্র সূর্য কিশোর নাগ চৌধুরীর ভূমিকায় মহানায়ক উত্তম কুমার এবং বিপরীতে ইন্দু চরিত্রে সুপ্রিয়া চৌধুরী অভিনয় করেছেন। এই সিনেমাটি বিখ্যাত ভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলা অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল। ভাওয়াল এস্টেট বর্তমানে বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৭৫-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:সন্ন্যাসী বিষয়শ্রেণী:১৯৭০-এর দশকের বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র
সন্ন্যাসী রাজা
অপর্ণা সেন (জন্ম: অক্টোবর ২৫, ১৯৪৫) একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র পরিচালিকা। তিনি অভিনেত্রী কঙ্কনা সেন শর্মার মাতা। জীবনকাহিনী অপর্ণা সেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ব বাংলা থেকে তার পরিবার কলকাতায় আসে। তার বাবা চলচ্চিত্র সমালোচক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা চিদানন্দ দাশগুপ্ত। তার মা সুপ্রিয়া দাশগুপ্ত সম্পর্কে খ্যাতনামা বাংলা কবি জীবনানন্দ দাশের খুড়তুতো বোন। তিনি তার শৈশব অতিবাহিত করেন় হাজারীবাগ এবং কলকাতা শহরে। তিনি কলকাতার মডার্ন হাই স্কুল ফর গার্লস এ লেখাপড়া করেছেন।তিনি কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়েছিলেন যদিও ডিগ্রি নেননি। অভিনয়জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র "অরণ্যের দিনরাত্রি" (১৯৭০) সহ আরো অনেক চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৪৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখিকা বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় নাট্যকার বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় লেখিকা বিষয়শ্রেণী:বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নারী চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নারী চিত্রনাট্যকার বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ব্রাহ্ম বিষয়শ্রেণী:শিল্পকলায় পদ্মশ্রী প্রাপক বিষয়শ্রেণী:কলকাতার অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:হিন্দি চিত্রনাট্যকার বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের লেখিকা বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের নারী শিল্পী বিষয়শ্রেণী:কলকাতার চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:কলকাতার চিত্রনাট্যকার বিষয়শ্রেণী:প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:কলাকার পুরস্কার বিজয়ী
অপর্ণা সেন
thumb|220px|ডিএনএ'র একটি অংশের সাধারণ গঠন ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড () একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। একটি সম্ভাব্য ব্যতিক্রম হচ্ছে কিছু ভাইরাস গ্রুপ যাদের আরএনএ জিনোম রয়েছে, তবে ভাইরাসকে সাধারণত জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরা হয় না। কোষে ডিএনএর প্রধান কাজ দীর্ঘকালের জন্য তথ্য সংরক্ষন। জিনোমকে কখনও নীলনকশার সাথে তুলনা করা হয় কারণ, এতে কোষের বিভিন্ন অংশে যেমনঃ প্রোটিন ও আরএনএ অণু, গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি থাকে। ডিএনএর যে অংশ এ জিনগত তথ্য বহন করে তাদের বলে জিন, কিন্তু অন্যান্য ডিএনএ ক্রমের গঠনগত তাৎপর্য রয়েছে অথবা তারা জিনগত তথ্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। ইউক্যারিয়ট যেমন প্রাণী ও উদ্ভিদে, ডিএনএ নিউক্লিয়াসের ভিতরে থাকে, তবে প্রোক্যারিয়ট যেমন ব্যাকটেরিয়াতে, ডিএনএ কোষের সাইটোপ্লাজমে থাকে। উৎসেচকের মতো ডিএনএ অধিকাংশ জৈবরসায়ন বিক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নেয় না; মূলত, বিভিন্ন উৎসেচক ডিএনএর উপর কাজ করে এর তথ্য নকল করে রেপ্লিকেশনের মাধ্যমে আরো ডিএনএ তৈরি করে, অথবা অনুলিপি তৈরি ও রুপান্তর ঘটিয়ে একে প্রোটিনে পরিণত করে। ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিন প্রোটিন যেমন হিস্টোন ডিএনএকে ঘনসন্নিবেশিত ও সংগঠিত করে, যা নিউক্লিয়াসের অন্যান্য প্রোটিনের সাথে এর আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডিএনএ নিউক্লিওটাইড নামক অণু সরল দিয়ে গঠিত একটি লম্বা পলিমার যা চিনি ও ফসফেট গ্রুপ দিয়ে গঠিত মেরুদণ্ডের সাথে যুক্ত। এই মেরুদণ্ডে চার ধরনের অণু থাকে যাদের বলে ক্ষার, এই চারটি ক্ষারের ক্রমই তথ্য ধারণ করে। ডিএনএর প্রধান কাজ জিনগত কোড ব্যবহার করে প্রোটিন থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড এর ক্রম তৈরি করা। জিনগত কোড পড়ার জন্য কোষ নিউক্লিক অ্যাসিড আরএনএতে ডিএনএর কিছু অংশের নকল তৈরি করে। কিছু আরএনএ নকল প্রোটিন জৈবসংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়, বাকিগুলো সরাসরি রাইবোজোম অথবা স্প্লাইসোজোম এর উপাদান হিসেবে থাকে। ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম right|thumb|350px|ডিএনএর রাসায়নিক গঠন ডিএনএ নিউক্লিওটাইড অণুর সমন্বয়ে গড়া একটি লম্বা পলিমার। ডিএনএ শৃংখল ২২ থেকে ২৪ Å চওড়া, এবং একটি নিউক্লিওটাইড অণু ৩.৩ Å দীর্ঘ। যদিও এসব অণু খুব ছোট, ডিএনএ পলিমার কয়েক মিলিয়ন নিউক্লিওটাইড নিয়ে অনেক বড় হতে পারে। উদাহরণস্বরুপ, সবচেয়ে বড় মানব ক্রোমোজোম, ক্রোমোজোম নং ১, ২২০ মিলিয়ন ক্ষার জোড়ার সমান দীর্ঘ। জীবদেহে ডিএনএ একটি একক অণু হিসেবে থাকে না, বরং চাপাচাপি করে জোড়া-অণু হিসেবে থাকে। এই লম্বা সূত্র দুইটি আঙ্গুরের মত প্যাঁচানো থাকে, যা দ্বৈত হেলিক্সের মত হয়। একটি ডিএনএ সূত্রে থাকে নিউক্লিওটাইড যা ডিএনএ মেরুদণ্ডকে ধরে রাখে, এবং একটি ক্ষার যা অন্য ডিএনএ সূত্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এই নিউক্লিওটাইড ও ক্ষারের পুনরাবৃত্তিতেই ডিএনএ সূত্র গঠিত। সাধারণভাবে একটি ক্ষার যদি একটি চিনি অণুর সাথে যুক্ত থাকে তাকে বলে নিউক্লিওসাইড এবং একটি ক্ষার যদি একটি চিনি ও এক বা একাধিক ফসফেট অণুর সাথে যুক্ত থাকে তাকে বলে নিউক্লিওটাইড। যদি একাধিক নিউক্লিওটাইড একসাথে যুক্ত থাকে, যেমন ডিএনএতে, তবে এই পলিমার কে বলে পলিনিউক্লিওটাইড। ডিএনএ সূত্রের মেরুদণ্ড ফসফেট ও চিনি অণুর পুনরাবৃত্তিতে গঠিত। ডিএনএর চিনি হচ্ছে পেন্টোজ (পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট) ২-ডিঅক্সিরাইবোজ। এই চিনি ফসফেট গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে পাশাপাশি চিনির অণুর মধ্যে তৃতীয় ও পঞ্চম কার্বন পরমাণুর স্থানে ফসফোডিয়েসটার বন্ধন গঠন করে। এই অপ্রতিসম বন্ধন বোঝায় যে ডিএনএ অণুর মেরু বা দিক আছে। দ্বৈত হেলিক্সে এক সূত্রের নিউক্লিওটাইডের দিক অন্য সূত্রের ঠিক বিপরীত দিকে থাকে। ডিএনএ সূত্রের এই ধরনের বিন্যাসকে প্রতিসমান্তরাল। ডিএনএর অপ্রতিসম প্রান্তকে বলে ৫' (ফাইভ প্রাইম) এবং ৩' (থ্রি প্রাইম) প্রান্ত। ডিএনএ ও আরএনএর মধ্যকার একটি প্রধান পার্থক্য হলো চিনিতে, যেখানে ডিএনএতে ২-ডিঅক্সিরাইবোজ ব্যবহৃত হয় সেখানে আরএনএতে আরেকটি পেন্টোজ চিনি রাইবোজ ব্যবহৃত হয়। ডিএনএর দ্বৈত হেলিক্স হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে স্থির থাকে, যা দুটি সূত্রের মধ্যে সংযুক্ত থাকে। ডিএনএতে যে চারটি ক্ষার পাওয়া যায় তা হল অ্যাডেনিন।এডেনিন (সংক্ষেপে A), সাইটোসিন (C), গুয়ানিন (G) এবং থাইমিন (T)। এরা পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় অ্যাডেনিন।এডেনিন (A) শুধুমাত্র থাইমিনের(T) সাথে এবং গুয়ানিন(G) শুধুমাত্র সাইটোসিনের(C) সাথে যুক্ত হয়। নিম্নে এই চারটি ক্ষার দেখানো হয়েছে যারা চিনি/ফসফেটের সাথে যুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিউক্লিওটাইড গঠন করে, যেমনঃ এডিনোসিন মনোফসফেট। ডিএনএতে প্রাপ্ত চারটি ক্ষারের রাসায়নিক গঠন এবং এডিনোসিন মনোফসফেট নিউক্লিওটাইড এই ক্ষারগুলো দুই ভাগে ভাগ করা যায়; এডেনিন ও গুয়ানিন হল পিউরিন নামক ৫- ও ৬- কার্বনচক্রের হেটারোসাইক্লিক যৌগ এবং সাইটোসিন ও থাইমিন হল পাইরিমিডিন নামক কার্বনচক্রের যৌগ। ইউরাসিল (U) নামে পঞ্চম আরেকটি পাইরিমিডিন ক্ষার আছে যা সাধারণত আরএনএতে থাইমিনের বদলে থাকে। থাইমিনের সাথে এর পার্থক্য হচ্ছে কেবল একটি মিথাইল গ্রুপের অনুপস্থিতি। ডিএনএতে কেবল সাইটোসিনের ভাঙনের ফলে উপজাত হিসেবে ইউরাসিল পাওয়া যেতে পারে, তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে পিবিএস-১ নামের একটি ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাস যার ডিএনএতে ইউরাসিল রয়েছে। কিন্তু আরএনএ সংশ্লেষণের সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইউরাসিল এনজাইমের প্রভাবে একটি মিথাইল গ্রুপ যুক্ত হয়ে থাইমিনে পরিণত হয়। মূলত গাঠনিক ও এনজাইম আরএনএ যেমনঃ ট্রান্সফার আরএনএ ও রাইবোজোমাল আরএনএতেই এই ঘটনা ঘটে। frame|right|ডিএনএ গঠনের এনিমেশন। ক্ষারগুলো সর্পিল সূত্রের মাঝে আড়াআড়িভাবে রয়েছে। বড় আকারে ডিএনএর দ্বৈত হেলিক্স ডান-হাতি সর্পিলাকার হয়ে থাকে। ডিএনএ সূত্রগুলো যখন প্যাঁচানো থাকে তখন তাদের ফসফেটের মেরুদণ্ডের মাঝে জায়গা রাখা থাকে। এই জায়গাতে ক্ষারগুলো যুক্ত হয় (এনিমেশন দেখুন)। দ্বৈত হেলিক্সের তলে দুই জায়গায় এরকম প্যাঁচানো খাঁজ (groove) থাকে। একটি খাঁজ ২২ Å প্রশস্ত ও অন্যটি ১২ Å প্রশস্ত। বৃহত্তর খাঁজটিকে বলে মেজর গ্রুভ ছোটটিকে বলে মাইনর গ্রুভ। মাইনর গ্রুভের সরুতার অর্থ হলো ক্ষারের প্রান্তগুলো মেজর গ্রুভে তুলনামুলক বেশি সহজে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে কিছু প্রোটিন যা ডিএনএতে কিছু নির্দিষ্ট ক্রমে যুক্ত হতে পারে, তারা ডিএনএতে মেজর গ্রুভের ক্ষারের সংস্পর্শে এসে কাঙ্ক্ষিত ক্রম খুঁজে নেয়। উপরে, একটি GC ক্ষার-জোড়া আছে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ধনে যুক্ত হয়ে। নিচে, একটি AT ক্ষার-জোড়া আছে দু’টি হাইড্রোজেন বন্ধনের সাথে যুক্তাবস্থায়। হাইড্রোজেন বন্ধন ড্যাশ রেখা দ্বারা দেখানো হয়েছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Crick's personal papers at Mandeville Special Collections Library, Geisel Library, University of California, San Diego DNA Interactive (requires Adobe Flash) DNA from the beginning Double Helix 1953 – 2003 National Centre for Biotechnology Education Double helix: 50 years of DNA, Nature Rosalind Franklin's contributions to the study of DNA U.S. National DNA Day — watch videos and participate in real-time chat with top scientists Genetic Education Modules for Teachers — DNA from the Beginning Study Guide Listen to Francis Crick and James Watson talking on the BBC in 1962, 1972, and 1974 DNA under electron microscope DNA Articles — articles and information collected from various sources DNA coiling to form chromosomes DISPLAR: DNA binding site prediction on protein Dolan DNA Learning Center Olby, R. (2003) "Quiet debut for the double helix" Nature 421 (January 23): 402 – 405. Basic animated guide to DNA cloning বিষয়শ্রেণী:বংশাণুবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:আণবিক জীববিজ্ঞান
ডিএনএ
অধ্যাপক রোনাল্ড লিন রিভেস্ট(জন্ম ১৯৪৭, শ্নেকট্যাডি, নিউ ইয়র্ক) হলেন একজন ক্রিপ্টোবিদ এবং ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি'র তড়িৎ প্রকৌশল এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের এমা ভিটারবি অধ্যাপক। তিনি প্রকাশ্য-চাবি ক্রিপ্টোকরণ ব্যবস্থায় অসামান্য অবদানের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। এই ব্যবস্থাটিতে তিনি লেন এডলম্যান এবং আদি শামির'র সাথে একত্রে আরএসএ অ্যালগোরিদম উদ্ভাবণ করেন যার স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের তিনজনকে ২০০২ সালে টুরিং পুরস্কার-এ ভূষিত করা হয়। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে গণিতে ব্যাচেলর ডিগ্রী এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ইনট্রোডাকশান টু অ্যালগোরিদম('সিএলআরএস' নামেও পরিচিত) নামক অ্যালগোরিদম বিষয়ের একটি আদর্শ পাঠ্যপুস্তকের সহ-প্রণেতা। তিনি এমআইটি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগারের(সিএসএআইএল) একজন সদস্য এবং ক্রিপ্টোবিদ্যা ও তথ্য নিরাপত্তা দলের প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া তিনি আরএসএ উপাত্ত নিরাপত্তা দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।(বর্তমানে এটাকে নিরাপত্তা গতিবিদ্যা এর সাথে একত্রিত করে আরএসএ নিরাপত্তা গঠন করা হয়েছে।) এবং পিপারকয়েন দলটিও তার প্রতিষ্ঠিত। অধ্যাপক রিভেস্টের গবেষণার পরিধি- ক্রিপ্টোবিদ্যা, কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা এবং অ্যালগোরিদম, বিষয়গুলিতে পরিব্যাপ্ত। এছাড়াও তিনি সুষম-চাবি ক্রিপ্টোকরণ অ্যালগোরিদম- আরসি২, আরসি৪, আরসি৫ এর উদ্ভাবক এবং আরসি৬ এর সহ-উদ্ভাবক। আরসি মানে হলো রিভেস্ট সাইফার বা অন্যভাবে বললে, রন-এর কোড। (মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আরসি১ বা আরসি৩ কই গেলো! আসলে তৈরি করার সময়েই আরএসএ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যবহৃত আরসি৩ পরাভূত হয়; আর আরসি১ কখনো প্রকাশই করা হয়নি।) একিভাবে তিনি এমডি২, এমডি৪ এবং এমডি৫ নামক ক্রিপ্টীয় হ্যাশ অপেক্ষক উদ্ভাবণ করেন। অধ্যাপক রিভেস্ট একাধারে ন্যাশনাল একাডেমী অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ও ন্যাশনাল একাডেমী অফ সায়েন্সেস এর সদস্য এবং এসিএম, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশান ফর ক্রিপ্টোগ্রাফিক রিসার্চ, ও আমেরিকান একাডেমী অফ আরটস এন্ড সায়েন্সেস এর ফেলো। তিনি ২০০০ সালে আদি শামির এবং লেন এডলম্যান এর সাথে যৌথভাবে আইইইই কোযি কোবেয়াশি কম্পিউটার এন্ড কম্যুনিকেশানস পুরস্কার এবং সিকিওর কম্পিউটিং লাইফটাইম এচিভমেন্ট পুরস্কার অর্জন করেন। রোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক রিভেস্ট সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী("লরা অনারিস কসা") লাভ করেন। তিনি বিশ্ব প্রযুক্তি কর্মজাল এর ফেলো এবং ২০০২ সালে যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য প্রদত্ত বিশ্ব প্রযুক্তি পুরস্কারের চূড়ান্ত পর্বে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। ২০০৫ সালে তিনি এমআইটিএক্স আজীবন কৃতিত্ব পুরস্কার লাভ করেন। প্রকাশিত গ্রন্থাবলী আরো দেখুন আর সি অ্যালগোরিদম বহিঃসংযোগ রোনাল্ড এল রিভেস্টের মুখ্যপাতা আরএসএ সিকিউরিটি ইনক. এর দপ্তরিক সাইট List of Ron Rivest's publications on DBLP List of Ron Rivest's patents on IPEXL Home page of Ronald L. Rivest Official site of RSA Security Inc. Ron Rivest election research papers The ThreeBallot Voting System (PDF) Rivest at the 2009 RSA conference, video with Rivest participating on the Cryptographer's Panel, April 21, 2009, Moscone Center, San Francisco বিষয়শ্রেণী:মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:১৯৪৭-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির শিক্ষক বিষয়শ্রেণী:টুরিং পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:মার্কনি প্রাইজ বিজয়ী
রন রিভেস্ট
ছবি বিশ্বাস (জন্ম: ১৩ জুলাই ১৯০০ - ১১ জুন ১৯৬২) তিনি মঞ্চ এবং চলচ্চিত্রের একজন বিখ্যাত বাঙালি অভিনেতা। জন্ম ও পরিবার ছবি বিশ্বাস কলকাতার নিবাসী ছিলেন। তার পিতার নাম ভূপতিনাথ। ছবি বিশ্বাসের আসল নাম ছিল শচীন্দ্রনাথ। কর্মজীবন ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে অন্নপূর্ণার মন্দির চলচ্চিত্রে প্রথম চিত্রাভিনয় করেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় জলসাঘর, দেবী, কাঞ্চনজঙ্ঘা, তপন সিংহের পরিচালনায় কাবুলিওয়ালা (চলচ্চিত্র) এছাড়া প্রতিশ্রুতি, শুভদা, হেড মাস্টার উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি বহু বাণিজ্য সফল চলচ্চিত্রে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি মূলত সাহেবী এবং রাশভারি ব্যক্তিত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতিলাভ করেন। তিনি মঞ্চঅভিনয়েও বিখ্যাত ছিলেন। সমাজ, ধাত্রীপান্না, মীরকাশিম, দুইপুরুষ, বিজয়া প্রভৃতি নাটকে তার অভিনয় উল্লেখযোগ্য। ছবি বিশ্বাস প্রতিকার (১৯৪৪) এবং যার যেথা ঘর (১৯৪৯) ছবি দুটির পরিচালক ছিলেন। অভিনীত ছবির তালিকা উপাধি ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে 'সঙ্গীত নাটক একাডেমী' তাঁকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান জানায়। মৃত্যু মোটরগাড়ি দুর্ঘটনায়, ১১ জুন ১৯৬২ সালে মারা যান ছবি বিশ্বাস। তথ্যসূত্র সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - প্রথম খণ্ড - সাহিত্য সংসদ ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেসে ছবি বিশ্বাস বিষয়শ্রেণী:বাঙালি অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:বাঙালি নাট্যব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:১৯০০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৬২-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:কলকাতার চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:কলকাতার অভিনেতা
ছবি বিশ্বাস
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় (২৯ নভেম্বর ১৯৩৬ - ৫ জুলাই ২০০৭) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা, যিনি মূলত বাংলা ভাষায় অভিনয় করতেন। বাক্তিগত জীবন শুভেন্দু’র বাবা ছিলেন শৈলেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মা মনিমালা দেবী। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ছিলেন অসাধারণ মেধাবী। ১৯৫৩ সালে ভর্তি হন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা । ১৯৬০ সালে পাশ করেন এমবিবিএস। প্রথমে সিভিল ডিফেন্সে তাঁরপর কলকাতা পুরসভায় যোগ দেন কর্মসূত্রে। ডাক্তারির জীবন ছেড়ে তিনি চলে এসেছিলেন রুপোলি পর্দার টানে | পেশাগত জীবন প্রখ্যাত অভিনেতা জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিনয় শিক্ষা | অংশ নিয়েছিলেন IPTA মুভমেন্টেও | চিড়িয়াখানা সত্যজিৎ রায়ের ‘চিড়িয়াখানা’ ছবির শুটিংয়ে উত্তমকুমারের হার্টের সমস্যা দেখা দিলে শুভেন্দুই প্রাথমিক শুশ্রূষা করেছিলেন। এবং তাঁরই পরামর্শে তৎক্ষণাৎ কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন উত্তমকুমার। চলচ্চিত্র কাঞ্চনমালা(১৯৯৯) পুরস্কার ও সম্মননা আনন্দলোক পুরস্কার: সেরা অভিনেতা - ১৯৯৮ (লাল দরজা চলচ্চিত্র)। তথ্যসূত্র বহি:সংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাঙালি অভিনেতা বিষয়শ্রেণী:১৯৩৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:২০০৭-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:কলকাতার অভিনেতা
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়
thumb|সুইডেনের লুন্দের একটি সঞ্চালণ লাইন বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন ব্যবস্থা বা বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চারণ এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে বিদ্যুৎশক্তি প্রেরণ করা হয়। এই শব্দটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিদ্যুৎশক্তি পরিচালনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সাধারণতঃ বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র থেকে জনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত সাবস্টেশন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিবহনকে বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালণ বলে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তিকে আরোহী রূপান্তরকের (transformer) মাধ্যমে উচ্চ বিভবে রূপান্তরিত করে তা সঞ্চালন করা হয়। সঞ্চালিত বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে গেলে সেখানে আবার অবরোহী রূপান্তরকের মাধ্যমে নিম্ন বিভবে রুপান্তরিত করা হয়। বসতবাড়ি বা শিল্প কারখানায় সাধারণত সঞ্চালণ বিভবের থেকে কম বিভবেই বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করা হয়। এজন্য সঞ্চালণ বিভব থেকে বণ্টন বিভবে রূপান্তর অবশ্যম্ভাবী। বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালণ এবং বিদ্যুৎশক্তি বিতরণ দুটি ভিন্ন ব্যবস্থাকে নির্দেশ করে। বিদ্যুৎশক্তি বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাবস্টেশন থেকে ব্যবহারকারীর কাছে বিদ্যুৎশক্তি সরবরাহ করা হয়। বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন ব্যবস্থায় বিপুল পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করা হয় বিধায় সাধারণতঃ এ ব্যবস্থায় উচ্চ বিভব (১১০ কেভি বা কিলোভোল্ট) ব্যবহার করা হয়। মূলতঃ ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে দূর দূরান্তে বিদ্যুৎশক্তি প্রেরণ করা হয়। শুধুমাত্র অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় (যেমন বড় বড় শহরে) মাটির নিচে দিয়ে বিদ্যুৎশক্তি প্রেরণ করা হয়। এসব এলাকায় বিপুল পরিমাণে ক্যাপাসিটিভ এবং রেজিস্টিভ লস থাকে এবং এখানে ঝুলন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে মাটির নিচের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করা হয়। চলতড়িৎ (AC) সঞ্চালন ব্যবস্থা ইতিহাস বিপুল পরিমাণ শক্তি সঞ্চালন গ্রীড সঞ্চালন ক্ষয়(Losses) উচ্চ বিভব একমুখী তড়িৎ শক্তি ক্ষয় গ্রীড ক্ষয় যোগাযোগ স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কিত ভুক্তি তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়শ্রেণী:প্রযুক্তি বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ বিষয়শ্রেণী:বিদ্যুৎ শক্তি bg:Електрически далекопровод
বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন
এলাচি লেবু একধরনের সুগন্ধি লেবু। এর সুঘ্রাণের জন্যই এই রূপ নামকরণ করা হয়েছে। এটি আকারে ২ ইঞ্চি থেকে ৪/৫ ইঞ্চি ও গোলাকৃতির হয়ে থাকে। ভিটামিন সি'র উৎকৃষ্টতম উৎস। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Citrus × meyeri information and links from NPGS/GRIN Fruits of warm climates History of the Meyer Lemon Tree 100 things to do with a Meyer lemon বিষয়শ্রেণী:লেবু বিষয়শ্রেণী:চীনের উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:আলংকারিক উদ্ভিদ
এলাচি লেবু
সন্দীপ রায় (জন্ম: ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪) ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের একমাত্র পুত্র। তার মাতার নাম বিজয়া রায়। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা গোয়েন্দা উপন্যাস সিরিজের কাহিনী অবলম্বনে তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। ব্যক্তিজীবন তিনি ২২ বছর বয়সে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন শতরঞ্জ কি খিলাড়ী ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে। এছাড়াও তিনি তার বাবার বিভিন্ন ছবিতে কাজ করেন এমনকি ফোটোগ্রাফার হিসেবেও। তার প্রথম পরিচালকের কাজ ফটিকচাঁদ ছবিতে। এই ছবি আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পায়। তিনি একজন ফোটোগ্রাফার হিসেবেও সুখ্যাতি অর্জন করেন। সত্যজিৎ রায়ের শেষ ৩টি চলচ্চিত্রে তিনি ফোটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন। গনশত্রু (The Enemy of the People), শাখা-প্রশাখা (The Branches of the Tree), আগন্তুক (The Stranger) সেই ৩টি ছবি। তিনি ছোটদের ম্যাগাজিন সন্দেশ-এ প্রকাশক হিসেবে কাজ করেন ও করছেন। এই ম্যাগাজিন প্রকাশ শুরু হয় প্রপিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী দ্বারা। এরপর তার পিতামহ সুকুমার রায় ও বাবা সত্যজিৎ রায় এই ম্যাগাজিনের হাল ধরেন। ১৯৯২ সালে বাবার মৃত্যুর পর সন্দীপ রায় যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০০৩ সালে হতে বর্তমান পর্যন্ত তিনি এই ম্যাগাজিনের সম্পাদক। তিনি বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার অনেক সিনেমার কাজ করেন। তিনি দ্বীপ প্রকাশন হতে প্রকাশিত আমি আর ফেলুদা বইয়ের লেখক। এই বইটি কলকাতা বইমেলার বেস্ট সেলার হয়। এই বইটি সত্যজিৎ রায়ের লেখা একেই বলে শুটিং বইয়ের স্বাদ বহন করে। এই বইয়ে তার নির্মিত ফেলুদার নির্মাণের গল্প রয়েছে। তিনি ১৯৮৯ সালে কিশোর কুমার-এর উপর প্রামান্যচিত্র নির্মাণ করেন। ২০০৩ সালে তিনি তার বাবার লেখা ১৯৬২ সালে প্রকাশিত বঙ্কুবাবুর বন্ধু গল্পের উপর ভিত্তি করে কাজ করা শুরু করেন। এই টেলিছবি কৌশিক সেন পরিচালনা করেন। এই ছবি ২০০৬ সালে টিভিতে দেখানো হয়। তিনি তার নিজের লেখা কাহিনী হিটলিস্ট-এর উপর ভিত্তি করে ২০০৯ সালে সিনেমা নির্মাণ করেন। বর্তমানে তিনি তাড়িনীখুড়োর উপর সিনেমা বানানোর কাজ করছেন। তাড়িনীখুড়ো সত্যজিৎ রায়ের লেখা এক জনপ্রিয় চরিত্র। ২১শে ডিসেম্বর, ২০১২তে তার নির্মাণ করা যেখানে ভূতের ভয় মুক্তি পেয়েছে। এতে রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের লেখা ২টি গল্পঃ অনাথবাবুর ভয়, ব্রাউন সাহেবের বাড়ি ও শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের লেখা ১টি গল্পঃ ভূত-ভবিষ্যত। তিনি ২০১৩ সালের দিকে প্রোফেসর শঙ্কুর ওপর ছবি নির্মাণের চিন্তা করছেন। প্রোফেসর শঙ্কু সত্যজিৎ রায়ের লেখা এক জনপ্রিয় চরিত্র। সিনেমা ফটিকচাঁদ (১৯৮৩) বঙ্কুবাবুর বন্ধু (২০০৩) একের পিঠে দুই সত্যজিতের প্রিয় গল্প সত্যজিত রায় প্রেসেন্টস (১৯৮৬) কিশোর কুমার (১৯৮৮) গুপি বাঘা ফিরে এলো (১৯৯৩) উত্তরান (১৯৯৪) টার্গেট (১৯৯৫) ফেলুদা ৩০ (১৯৯৬) বাক্স রহস্য (১৯৯৬) সত্যজিতের গপ্পো (১৯৯৯; ৫টি ফেলুদা ও ৬টি গল্প নিয়ে) বোম্বাইয়ের বোম্বেটে (২০০৩) নিশিযাপন (২০০৫) কৈলাসে কেলেঙ্কারী (২০০৭) টিনটোরেটোর যিশু (২০০৮) হিটলিস্ট (২০০৯) গোরস্থানে সাবধানে! (২০১০) রয়েল বেঙ্গল রহস্য (২০১১) যেখানে ভূতের ভয় (২০১২) চার (২০১৪) বাদশাহী আংটি (২০১৪) মনচোরা (২০১৬) ডাবল ফেলুদা (২০১৬) প্রোফেসর শঙ্কু ও এলডোরাডো (২০১৯) বই আমি আর ফেলুদা (২০০৬) পুরস্কার ৩৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- হিমঘর-এর জন্য মন্তব্য সত্যজিৎ রায় বলেন যে তার শ্রেষ্ঠ সহকারী ছিল তার ছেলে সন্দীপ রায়। তিনি বলেছেন, গুপি বাঘা ফিরে এলো ছবির বেশিরভাগ কৃতিত্ব সন্দীপের। শুধু গল্প আর কিছু গান আমার। চিত্রনাট্য, পরিচালনা, ছবি তোলা-এ সবই সন্দীপের। ক্যামেরা পরিচালনার দিক দিয়ে সে বিশেষ পারদর্শী। এ কাজে ওর দক্ষতা আমার চেয়ে বেশি। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ SatyajitRay.org এ সন্দীপ রায়ের জীবনী আপনার ফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারে দেখতে পারেন ফটিকচাঁদ বিষয়শ্রেণী:বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:সত্যজিৎ রায় বিষয়শ্রেণী:কলকাতার চলচ্চিত্র পরিচালক
সন্দীপ রায়
বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ বিষয়শ্রেণী:ল্যান্থানাইড
টারবিয়াম
ট্যানটালাম হল একটি মৌলিক পদার্থ, এর প্রতীক Ta এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৭৩। আগে এর নাম ছিল ট্যানটালিয়াম , গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীর খলনায়ক ট্যানটালাসের নামে এখন এর নামকরণ করা হয়েছে। ট্যানটালাম একটি বিরল, শক্ত, ধূসর নীল, চকচকে) অবস্থান্তর ধাতু, এটি ভীষণভাবে ক্ষয়-প্রতিরোধী। এটি উচ্চতাপ সহনশীল ধাতু দলের একটি অংশ, যেগুলি সঙ্কর ধাতু তৈরিতে ক্ষুদ্র উপাদান হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ট্যানটালাম রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় হওয়ায়, পরীক্ষাগারে এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মূল্যবান পদার্থ এবং এটিকে প্লাটিনামের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ট্যানটালাম ক্যাপাসিটার হিসেবে এটি প্রধানত ব্যবহার হয় বৈদ্যুতিন সরঞ্জামগুলিতে, যার মধ্যে আছে মোবাইল ফোন, ডিভিডি প্লেয়ার, ভিডিও গেইম কনসোল এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটার। রাসায়নিকভাবে অনুরূপ নাইওবিয়ামের সাথে, ট্যানটালামকে সর্বদা ট্যানটালাইট, কলম্বাইট এবং কোল্টান খনিজ গ্রুপে (পৃথক খনিজ প্রজাতি হিসাবে স্বীকৃত না হলেও কলম্বাইট এবং ট্যানটালাইটের মিশ্রণ) দেখা যায়। ট্যানটালামকে একটি প্রয়োজনীয় অথচ দুর্লভ উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইতিহাস ১৮০২ সালে ট্যানটালাম আবিষ্কার করেছিলেন সুইডেনের অ্যান্ডার্স একেবার্গ, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের দুটি খনিজ নমুনায় তিনি এর সন্ধান পান। এর এক বছর আগে, চার্লস হ্যাচেট কলম্বিয়াম (এখন নাইওবিয়াম) আবিষ্কার করেছিলেন, এবং ১৮০৯ সালে, ইংরেজ রসায়নবিদ উইলিয়াম হাইড ওল্লাস্টন, এর অক্সাইড কলাম্বাইট, যার ঘনত্ব ৫.৯১৮ গ্রাম/সেমি৩, তার সাথে তুলনা করেছিলেন ট্যানটালামের (ট্যানটালাইট) যার ঘনত্ব ৭.৯৩৫ গ্রাম/সেমি৩। তিনি উপসংহারে পৌঁছেছিলেন যে দুটি অক্সাইডের ঘনত্বের মাপে পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তারা অভিন্ন এবং তিনি এই ট্যানটালাম নামটি রেখেছিলেন। ফ্রেডরিখ ভোলার এই ফলাফলগুলি নিশ্চিত করার পরে, মনে করা হয়েছিল কলম্বিয়াম এবং ট্যানটালাম একই মৌল। ১৮৪৫ সালে জার্মান রসায়নবিদ হেনরিচ রোজ এই সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে ট্যানটালাইট নমুনায় দুটি অতিরিক্ত মৌল রয়েছে, এবং তিনি তাদের নাম ট্যানটালাসের সন্তানদের নামে রেখেছিলেন: নাইওবিয়াম (অশ্রুর দেবী নাইওব থেকে), এবং পেলোপিয়াম ( পেলপস থেকে)। এই "পেলোপিয়াম" মৌলটি পরে ট্যানটালাম এবং নাইওবিয়ামের মিশ্রণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল, এবং দেখা গিয়েছিল যে, নাইওবিয়াম যে কলম্বিয়ামের সাথে সমান, তা ইতিমধ্যেই ১৮০১ সালে হ্যাচেট আবিষ্কার করেছিলেন। ১৮৬৪ সালে, খ্রিস্টান উইলহেলম ব্লমস্ট্র্যান্ড এবং হেনরি এটিনে সান্তে-ক্লেয়ার ডিভিল, পাশাপাশি লুই জে ট্রুস্ট, ট্যানটালাম এবং নাইওবিয়ামের মধ্যে পার্থক্যগুলি দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রদর্শন করেছিলেন। এদের মধ্যে লুই জে ট্রুস্ট ১৮৬৫ সালে, ঐ মৌলগুলির কয়েকটি যৌগের গবেষণামূলক সূত্র নির্ধারণ করেছিলেন। এগুলির আরও নিশ্চিতকরণ এসেছিল সুইস রসায়নবিদ জিন চার্লস গ্যালিসার্ড ডি মেরিনাক এর কাছ থেকে, ১৮৬৬ সালে, তাঁরা প্রমাণ করেছিলেন যে কেবল দুটি উপাদান রয়েছে। এই আবিষ্কারগুলির পরেও, ১৮৭১ সাল অবধি, বিজ্ঞানীরা তথাকথিত ইলমেনিয়াম সম্পর্কে নিবন্ধ প্রকাশ করে গেছেন। ১৮৬৮ সালে ডি ​​মেরিনাক প্রথম ট্যান্টালামের ধাতব রূপের উৎপাদন করেছিলেন, তিনি ট্যানট্যালাম ক্লোরাইডকে হাইড্রোজেনের মধ্যে গরম করে বিজারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সফল হয়েছিলেন। প্রথমদিকে কেবল অপরিশুদ্ধ ট্যানটালাম উৎপাদন করা গিয়েছিল, এবং ১৯০৩ সালে প্রথম শার্লটেনবার্গের ওয়ার্নার ভন বোল্টন তুলনামূলকভাবে খাঁটি এই নমনীয় ধাতুটি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রথমদিকে আলোর বাল্বে ধাতব ট্যানটালাম দিয়ে তৈরি তার ফিলামেন্টের জন্য ব্যবহার করা হত, এরপর টাংস্টেন এর জায়গা নেয়। ট্যানটালাম নামটি পৌরাণিক ট্যানটালাসের নাম থেকে এসেছিল, যিনি ছিলেন গ্রিক পুরাণে নাইওবের জনক। এই গল্পে, মৃত্যুর পরে, দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল হাঁটু পর্যন্ত গভীর জলে দাঁড়িয়ে থাকার। তাঁর মাথার উপরে ছিল নিখুঁত সুন্দর ফল। তিনি জল খেতে গেলে জলতল নিচে নেমে তাঁর ছোঁয়ার বাইরে চলে যেত এবং ফল খেতে গেলে শাখাসহ ফল ওপরে উঠে যেত। উভয় ঘটনাই তাঁকে বিশ্বাস জাগিয়ে প্রতারণা করেছিল। অ্যান্ডার্স একবার্গ লিখেছিলেন "এই ধাতুটিকে আমি ট্যানটালাম বলি ... আংশিকভাবে তার অক্ষমতার ইঙ্গিতের জন্য।" কয়েক দশক ধরে, ট্যানটালামকে নাইওবিয়াম থেকে আলাদা করার জন্য বাণিজ্যিক প্রযুক্তির মধ্যে ছিল পটাসিয়াম অক্সিপেন্টাফ্লুওরোনিওবেট মনোহাইড্রেট থেকে পটাসিয়াম হেপটাফ্লুওরোটানটালেটের আংশিক কেলাসন। ১৮৬৬ সালে জিন চার্লস গ্যালিসার্ড ডি মেরিনাক এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছিলেন। এই পদ্ধতিটি ফ্লোরাইডযুক্ত ট্যানট্যালামের দ্রবণে দ্রাবক নিষ্কাশন দ্বারা স্থানচ্যুত করে করা হয়েছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Tantalum-Niobium International Study Center CDC – NIOSH Pocket Guide to Chemical Hazards বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ বিষয়শ্রেণী:অবস্থান্তর ধাতু
ট্যানটালাম
রেনিয়াম একট রাসায়নিক মৌল। এর রাসায়নিক চিহ্ণ Re এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৭৫। এটি দেখতে রুপোলি-ধূসর রঙের। ভূত্বকে এই মৌলের পরিমাণ খুবই কম। গড় পরিমাণ হলো একশ কোটি ভাগে এক ভাগ। একেবারে বিরল বলা যায়। এই ধাতুটির গলনাঙ্ক খুবই বেশি। ৩১৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গলনাঙ্কের দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম গলনাঙ্কের ধাতু। এর চেয়ে বেশি মাত্র দুটি মৌলের গলনাঙ্ক রয়েছে। সেই মৌল দুটি হলো টাংস্টেন ও কার্বন। বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ
রিনিয়াম
মোহাব্বতে (, , ), শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, এবং ঐশ্বর্যা রাই অভিনীত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। ছবিটির কাহিনীর কিছু অংশের সাথে রবিন উইলিয়াম্‌স অভিনীত ইংরেজি ছায়াছবি ডেড পোয়েট্‌স সোসাইটি এর কাহিনীর মিল পাওয়া যায়। কাহিনী সংক্ষেপ শ্রেষ্ঠাংশে অমিতাভ বচ্চন - নারায়ন শংকার শাহরুখ খান - রাজ আরিয়ান মেলহোত্রা ঐশ্বর্যা রাই - মেঘা উদয় চোপড়া - বিক্রম কাপুর/অবেরই যুগল হানস্রাজ - সমীর শর্মা জিমি শেরগিল - করণ চৌধুরী শমিতা শেঠী - ঈশিকা ধানরাজগির কিম শর্মা - সানজানা প্রীতি ঝানগিয়ানি - কিরণ অমরিশ পুরি - মেজর জেঃ খান্না শেফালী শাহ - নন্দিনী সৌরভ শুক্লা - সানজানার বাবা অনুপম খের - কাকে অর্চনা পুরান সিং - প্রীত হেলেন - মিস মনিকা সংগীত সাউন্ড ট্র্যাক পুরস্কার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - শ্রেষ্ঠ সহযোগী অভিনেতা (অমিতাভ বচ্চন) আইফা পুরস্কার - শ্রেষ্ঠ সাজসজ্জা রূপায়ণ আইফা পুরস্কার - শ্রেষ্ঠ গল্প স্ক্রিন পুরস্কার - শ্রেষ্ঠ গানের কথা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ - এ বিষয়শ্রেণী:হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:২০০০-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:২০০০-এর দশকের হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:যশ রাজ ফিল্মসের চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:যতীন-ললিত সুরারোপিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় প্রণয়ধর্মী সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বন্ধু সম্পর্কিত চলচ্চিত্র
মোহাব্বতে
পুনর্নির্দেশ ক্যাথলিক মণ্ডলী
রোমান ক্যাথলিক
এস্টাটিন একটি বিরল মৌল। সমগ্র পৃথিবীতে এস্টাটিনের পরিমাণ ২৮ গ্রাম। বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ
এস্টাটিন
পুনর্নির্দেশ আলী
হযরত আলী রাঃ
ল্যাংচা এক রকমের রসের মিষ্টি। এর রঙ হয় কালচে বাদামী। পশ্চিমবঙ্গের শক্তিগড়ের ল্যাংচা বিখ্যাত। গঠনে ও স্বাদে এটি অনেকটা বাংলাদেশের কালজামের মতো। উৎপত্তি ল্যাংচার উৎপত্তি ও নামকরণ নিয়ে মতভেদ আছে। বিশিষ্ট সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের রূপমঞ্জরী উপন্যাসে বর্ণিত কাহিনীকে প্রামাণ্য ধরে সাংবাদিক গৌতম ধনী কৃষ্ণনগর ও বর্ধমানের রাজ পরিবারের বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ল্যাংচার উৎপত্তির ইতিহাস খোঁজার করার চেষ্টা করেছেন। একজন মহারাজা/জমিদার বর্ধমানের কোনো মিষ্টান্ন কারিগর কে বলেন যে তিনি ভাজা মিষ্টি খেতে চান, আর তখন সেই তাড়াতাড়ি করে সেই কারিগর ওনাকে একরকম ভাজা মিষ্টি বানিয়ে দেন এবং সেটি খুবই সুস্বাদু হয়,যিনি ওই ভাজা মিষ্টি তৈরি করে ছিলেন তিনি ল‍্যাংড়া ছিলেন, ওনার নাম অনুসারে ওই মিষ্টির নাম হয় ল‍্যাংচা । বহি:সূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের খাদ্য বিষয়শ্রেণী:মিষ্টান্ন বিষয়শ্রেণী:মিষ্টি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মিষ্টান্ন বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রন্ধনশৈলী বিষয়শ্রেণী:বাংলার মিষ্টি
ল্যাংচা
রাদারফোর্ডিয়াম (ইংরেজি: Rutherfordium) পর্যায় সারণীর ১০৪তম মৌলিক পদার্থ। রাদারফোর্ডিয়াম এর আণবিক সংকেত Rf। বিষয়শ্রেণী:মৌলিক পদার্থ
রাদারফোর্ডিয়াম
সোনার কেল্লা সত্যজিৎ রায়ের একটি গোয়েন্দা উপন্যাস, যা পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র রূপ দেয়া হয়। ফেলুদা সিরিজের এই উপন্যাসটি ১৯৭১ সালে (১৩৭৮ বঙ্গাব্দ) শারদীয়া দেশ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ ১৯৭১ সালে ডিসেম্বর মাসে ৮৬ পৃষ্ঠার গ্রন্থাগারে প্রকাশ করে। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন সত্যজিৎ রায় স্বয়ং। সোনার কেল্লায় লালমোহন বাবু'র(জটায়ু) চরিত্র প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রে ফেলুদা কাহিনীর অন্যতম ভূমিকা আছে। গুপী গাইন বাঘা বাইন ছায়াছবি বানানোর সময় জয়সলমীরে তোলা হাল্লা রাজার দুর্গ হয়ে ওঠে সোনার কেল্লা। সোনার কেল্লার গল্পের প্রথম খসড়ার নাম, ঠিক করে লেখা অথবা কতদিনে লেখা সেটা জানা যায় না। ১৯৭২ সাল থেকে সত্যজিৎ রায় ফেলুদা লেখার সময় শুরু এবং শেষ হওয়ার দুটো তারিখই দিতে শুরু করেন । কাহিনী এর কাহিনী গড়ে উঠেছে মুকুল নামে একটি জাতিস্মর বালককে কেন্দ্র করে। সুধীর ধরের ছেলে মুকুল ছয় বছর বয়সে পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণ করতে থাকে। সোনার কেল্লার ছবি এঁকে মা-বাবাকে দেখায়। প্যারাসাইকলজিস্ট ডক্টর হাজরা মুকুলকে পরীক্ষা করে মুকুলের সঙ্গে পশ্চিম রাজস্থানে সোনার কেল্লার খোঁজে যেতে রাজি হন। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর বর্মন এবং মন্দার বোস নামে দুজন দুষ্কৃতকারী আসল ডক্টর হাজরাকে পাহাড়ে ফেলে দিয়ে ছলে-কৌশলে মুকুলের বিশ্বাস অর্জন করে। বর্মন ডঃ হাজরার এবং বোস বিশ্বভ্রমণকারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে। ইতোমধ্যে সুধীরবাবুর সন্দেহ হয় যে ছেলে মুকুল বিপদে পড়েছে। তিনি ফেলুদার (প্রদোষ মিত্র) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফেলুদা মাসতুতো ভাই তোপ্‌সেকে (তপেশরঞ্জন মিত্র) নিয়ে যোধপুরে রওনা হয়ে যান। পথে লালমোহন বাবু'র সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়। ফেলুদা, তোপ্‌সে এবং লালমোহনবাবু যোধপুরের সার্কিট হাউসে মুকুলের সঙ্গে ছদ্মবেশী ডঃ হাজরা এবং বোসের দেখা পান। বর্মন মুকুলকে সম্মোহন করে জানতে পারে সোনার কেল্লার অবস্থান জয়সলমীরে। ফেলুদাকে সাময়িকভাবে বোকা বানিয়ে বর্মন এবং বোস মুকুলকে নিয়ে জয়সলমীরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপরে ফেলুদা তোপ্‌সে এবং লালমোহনবাবুকে নিয়ে নানা ঘটনা ও বাধা-বিপত্তির মধ্যে রহস্যের সমাধান করেন। আসল ডঃ হাজরার খোঁজ পাওয়া যায়। জয়সলমীরের সোনার কেল্লায় দুষ্কৃতকারী ধরা পড়ে। মুকুলকে ফেলুদা উদ্ধার করে। মুকুলও এই ঘটনাপ্রবাহে পুর্বস্মৃতি ভুলে যায়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ফেলুদা সিরিজ বিষয়শ্রেণী:বাংলা উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ এর বই
সোনার কেল্লা (উপন্যাস)
গুঁজিয়া বা গুজিয়া একপ্রকারের ছোট ছোট সন্দেশ। যার মাঝখানে ফুটো থাকে। সাধারণত পুজোআচ্চার কাজে এই মিষ্টি ব্যবহৃত হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের খাদ্য বিষয়শ্রেণী:মিষ্টান্ন বিষয়শ্রেণী:মিষ্টি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মিষ্টান্ন বিষয়শ্রেণী:বাংলার মিষ্টি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রন্ধনশৈলী
গুজিয়া
পুনর্নির্দেশ রানী মুখার্জী
রানী মুখোপধ্যায়
দৈনিক আজকের কাগজ বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষার দৈনিক সংবাদপত্র। প্রথম প্রকাশক কাজী শাহেদ আহমেদ এবং সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খানের সম্পাদনায় ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া পত্রিকাটি ২০০৭ সালে আর্থিক সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন কাজী শাহেদ আহেমদ। নিয়মিত আয়োজন নিয়মিত আয়োজনে ছিল- সংবাদ, সম্পাদকীয়, রাজধানী, খবর, ঢাকা, বিদেশ, অন্যমত, ব্যবসা বাণিজ্য, চট্টগ্রাম অঞ্চল, সিলেট অঞ্চল, খুলনা-বরিশাল অঞ্চল, রাজশাহী-রংপুর অঞ্চল, খেলা, বিনোদন, পাঠ প্রতিদিন, প্রযুক্তি খবর, চিঠিপত্র। ইতিহাস ১৯৯১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি "অগ্রসর পাঠকের দৈনিক" এবং "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নির্ভীক কণ্ঠস্বর" স্লোগানে আজকের কাগজ চালু হয়। কাজী শাহেদ আহমেদের প্রকাশনায় পত্রিকাটি আত্মপ্রকাশ করে। পত্রিকাটির প্রথম সম্পাদক হিসেবে নাঈমুল ইসলাম খানকে নিযুক্ত করা হয়। আশির দশকে কাজী শাহেদ আহমেদের প্রকাশনায় সাপ্তাহিক খবরের কাগজ প্রকাশিত হত। সাপ্তাহিক পত্রিকাটি ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই সূত্র ধরেই স্বৈরাচারের পতনের পরপরই দৈনিক আজকের কাগজ আত্মপ্রকাশ করে। কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে দৈনিক আজকের কাগজে প্রকাশিত একটি লেখায় উল্লেখ করেন, সরকার ও প্রশাসনের বিরোধিতা, সংবাদ বিন্যাস, পৃষ্ঠা, কলাম, ইত্যাদির মেকআপ, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক নানা বিষয়ের দু’পৃষ্ঠাব্যাপী স্ক্রেড, সম্পাদকীয় বাক-সংযম, বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠককের চিন্তাচেতনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা, সংবাদপত্র কলামকে একটি বিশিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া প্রভুত কারণে পত্রিকাটি পরিচিতি লাভ করে। প্রকাশনা বন্ধ ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় সম্পাদক আর্থিক সঙ্কটের কারণে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ ঘোষণা করেন। সর্বশেষ পত্রিকাটি ২২৫ জন কর্মী কাজ করতেন। আরো দেখুন বাংলাদেশের সংবাদপত্রের তালিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার সংবাদপত্র বিষয়শ্রেণী:ঢাকার গণমাধ্যম বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বিলুপ্ত সংবাদপত্র বিষয়শ্রেণী:ঢাকায় প্রকাশিত সংবাদপত্র‎
দৈনিক আজকের কাগজ
তাল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম: Borassus flabellifer। ইংরেজি নামগুলি হলো doub palm, palmyra palm, tala palm, toddy palm, wine palm অথবা ice apple। এটি একটি এশিয়া ও আফ্রিকার গ্রীষ্মকালীন গাছ। এই গাছের ফলকেও তাল বলা হয়। এরা এরিকাসি পরিবারের বরাসুস গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ।এর আদিবাস মধ্য আফ্রিকা। বিবরণ তাল গাছ পাম গোত্রের অন্যতম দীর্ঘ গাছ যা উচ্চতায় ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট পর্যন্ত পৌছতে পারে। তালের পাতা পাখার মত ছড়ানো তাই বোরাসাস গণের পাম গোত্রীয় গাছগুলিকে একত্রে ফ্যান-পাম বলা হয়। তাল ভারতীয় উপমহাদেশীয় অনেক অঞ্চলেরই জনপ্রিয় গাছ কারণ এর প্রায় সব অঙ্গ থেকেই কিছু না কিছু কাজের জিনিস তৈরী হয়, প্রায় কিছুই ফেলা যায় না। তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, তালপাতার চাটাই, মাদুর, আঁকার পট, লেখার পুঁথি, কুণ্ডলী, পুতুল ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরী হয়। তালের কাণ্ড দিয়েও বাড়ি, নৌকা, হাউস বোট ইত্যাদি তৈরী হয়। খাদ্যগুণ তালের ফল এবং বীজ দুইই বাঙালি খাদ্য। তালের ফলের ঘন নির্যাস থেকে তাল ফুলুরি তৈরী হয়। তালের বীজও খাওয়া হয় লেপা বা "তালশাঁস" নামে । তাল গাছের কাণ্ড থেকেও রস সংগ্রহ হয় এবং তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি, তাড়ি (একপ্রকার চোলাই মদ) ইত্যাদি তৈরি হয়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সহ আরো অনেক খনিজ উপাদান। এর সাথে আরো আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। তবে তাল কেনার সময় নরম তাল কেনা উচিৎ। কারণ বেশি পাকা তাল হজম করতে সমস্যা হয়। তালের ছবি তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ফল বিষয়শ্রেণী:বাংলার ফল বিষয়শ্রেণী:বাংলার উদ্ভিদ
তাল (ফল)
বড়দিদি (প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর, ১৯১৩) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। এই উপন্যাসে মোট দশটি পরিচ্ছেদ রয়েছে। প্রকাশের ইতিহাস কলেজ ত্যাগ করার পর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুর শহরের খঞ্জরপুর পল্লীতে তার প্রতিবেশী বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিলেন। এই সময় তিনি বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস রচনা করেন, যেগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টের বাড়িতে থাকত। শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধু সাহিত্যিক সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ভাগলপুর থেকে কলকাতা ফিরে যাওয়ার সময় শরৎচন্দ্রের অনুমতিতে সেই পাণ্ডুলিপিগুলি নিয়ে যান। পরে এই খাতাগুলি বিভূতিভূষণ ভট্টকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার সময় তিনি বড়দিদি উপন্যাসটি টুকে নিয়ে একটি কপি নিজের কাছে রাখেন। ১৩১৪ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসে ভারতী পত্রিকার সম্পাদিকা সরলা দেবী লাহোর থেকে কলকাতা ফিরে পত্রিকার ভার সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের ওপর অর্পণ করেন। তার আগ্রহে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় সংখ্যায় তিন ভাগে বড়দিদি প্রকাশিত হয়। প্রথম দুই সংখ্যায় লেখক হিসেবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঊহ্য রাখা হলে এই লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কি না তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। আষাঢ় সংখ্যায় বড়দিদির লেখক হিসেবে শরৎচন্দ্রের নাম প্রকাশ করা হয়। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে যমুনা পত্রিকার সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ পাল শরৎচন্দ্রের নিষেধ সত্ত্বেও এই উপন্যাস পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলা উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার ভারতীয় উপন্যাস
বড়দিদি
thumb|245x245px|কলকাতা মেট্রোর একটি ভূগর্ভস্থ স্টেশনে একটি পুরাতন মেট্রো রেল। কলকাতা মেট্রো পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী উত্তর চব্বিশ পরগনা , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও হাওড়া জেলার অংশবিশেষে পরিষেবা প্রদানকারী দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য অনুসারে, কলকাতা মেট্রোর দুটি সক্রিয় যাত্রাপথ রয়েছে, একটি হলো দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত দীর্ঘ মেট্রো লাইন এবং অপরটি দীর্ঘ সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান মেট্রো লাইন। এই ব্যবস্থায় ৩৮.৫৬৫ কিলোমিটার পথে ব্রডগেজ (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) এবং আদর্শগেজ উভয় বিস্তারযুক্ত ৩৩ টি মেট্রো স্টেশন বিদ্যমান, যার মধ্যে ১৬ টি স্টেশন ভূগর্ভস্থ, ১৫ টি স্টেশন উত্তোলিত এবং ২ টি স্টেশন ভূমিগত। এছাড়া আরো চারটি লাইন বিভিন্ন পর্যায়ে নির্মীয়মান হয়ে রয়েছে৷ ভারতীয় প্রমাণ সময় ০৫:৪৫ থেকে ২১:৫৫ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু থাকে এবং মেট্রোর ভাড়া ₹৫ থেকে ₹৩০ এরমধ্যে হেরফের করে। ১৯৮৪ সালে চালু হওয়া কলকাতা মেট্রো ভারতের প্রথম মেট্রো রেল পরিষেবা (দ্বিতীয় মেট্রো পরিষেবা দিল্লি মেট্রো চালু হয় ২০০২ সালে)। প্রাথমিকভাবে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে এর পরিকল্পনা করা হলেও সত্তরের দশকে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়৷ ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে চালু হওয়া কলকাতা মেট্রোর প্রথম ধাপটি ছিলো ভবানীপুর (বর্তমান নেতাজি ভবন) থেকে এসপ্ল্যানেড অবধি দীর্ঘায়িত ছিল। ২০২০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেট্রোর লাইন-২ বা পূর্ব-পশ্চিম করিডোর চালু হয়। এটি দিল্লি মেট্রো, হায়দ্রাবাদ মেট্রো, চেন্নাই মেট্রো এবং নাম্মা মেট্রোর পর বর্তমানে ভারতের কর্মক্ষম পঞ্চম দীর্ঘতম মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থা। কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ লাইনটি উত্তরে দক্ষিণেশ্বর থেকে দক্ষিণে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) পর্যন্ত ৩১.৩৬ কিলোমিটার প্রসারিত ও মোট স্টেশনের সংখ্যা ২৫ টি। এবং নোয়াপাড়ার পর থেকে বরাহনগর হয়ে লাইনটি দক্ষিনেশ্বর অবধি সম্প্রসারিত হয় ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১এ। এই লাইনে ভূগর্ভস্থ ও উড়াল, উভয় প্রকার ট্র্যাকেই ট্রেন চলাচল করে। প্যারিস মেট্রোর মতো কলকাতা মেট্রোতেও দেশের বিভিন্ন মণীষী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে স্টেশনের নামকরণ করা হয়ে থাকে। পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলের মেট্রো ভবনে কলকাতা মেট্রোর সদর কার্যালয় অবস্থিত। ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতা মেট্রোর দ্বিতীয় লাইন হিসাবে পূর্ব-পশ্চিম লাইনের সেক্টর ৫ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত ৫.৮ কিলোমিটার পথ খোলা হয় যেখানে মোট ৬ টি স্টেশন রয়ছে এবং প্রতিটি স্টেশন সহ রেলপথটি উত্তোলিত ভাবে নির্মিত। মেট্রো রেলওয়ে, কলকাতা, এবং কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন এই রেল পরিষেবার কর্ণধার ও পরিচালক৷ ২০১০ সালের ২৯শে ডিসেম্বর কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে ভারতীয় রেলওয়ের ১৭তম ক্ষেত্র বলে চিহ্নিত হয়৷ এটি পুরোপুরিভাবে ভারতীয় রেল মন্ত্রকের অধিকৃত ও নিহিত৷ এটিই একমাত্র মেট্রো পরিষেবা যা ভারতীয় রেলের অধীনস্থ এবং ভারতীয় রেলের একটি ক্ষেত্রীয় রেলওয়ের মর্যাদা ভোগ করে। দৈনিক ৩০০ টি ট্রেন যাত্রায় ৭,০০,০০০-এর অধিক যাত্রী পরিষেবা ভোগ করেন৷ বর্তমানে কলকাতা মেট্রোর একাধিক সম্প্রসারণ প্রকল্প ও নতুন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। ইতিহাস thumb|সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের বহির্গাত্রের ম্যুরাল প্রাথমিক প্রচেষ্টা কলকাতা শহরের জন্য একটি পূর্ব-পশ্চিম রেলপথ সংযোগ হিসাবে “ইস্ট-ওয়েস্ট টিউব রেলপথ” ১৯২১ সালে ব্রিটিশ রাজ আমলে হার্লি হিউ ডালরিম্পল হে দ্বারা প্রস্তাবিত হয়, তবে শেষ পর্যন্ত ১৯২৩ সালে তহবিলের অভাবে এটি নেওয়া হয়নি। যদিও প্রাথমিক প্রচেষ্টা করা হয় ১৯১৯ সালে, মানুষকে সময়মতো তাদের কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধা দিতে। সিমলাতে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সেপ্টেম্বরের অধিবেশনে স্যার ডব্লু ই ক্রাম একটি কমিটি গঠন করেন কলকাতার জন্য একটি মেট্রো লাইনের প্রস্তাব করে। এই লাইনটি হুগলি নদীর নিচে একটি সুড়ঙ্গ দিয়ে পূর্বের বাঘমারি এবং হাওড়ার সালকিয়া বেনারস রোডকে সংযুক্ত করার কথা ছিল। নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলিত £৩৫,২৬,১৫৪ পাউন্ড বা প্রায় ৪.২৮ কোটি (বর্তমান বিনিময় হারের ভিত্তিতে), এবং প্রস্তাবিত সময়সীমা ছিল ১৯২৫-২৬ সাল। প্রস্তাবিত লাইনটি ১০.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ (বর্তমান পূর্ব-পশ্চিম করিডোরের চেয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার কম), যা বঘমারীতে ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে এবং বেনারস রোডে ভারতীয় রেলকে সংযুক্ত করবে। তিনি তখন উত্তর-দক্ষিণ লাইনের কথাও উল্লেখ করেন। ১৯২২ সালে রব জে কুক অ্যান্ড হ্যামন্ড প্রকাশিত তাঁর বই কলকাতা টিউব রেলওয়েতে সমস্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। রেলপথটিতে সম্পূর্ণ ভ্রমণের জন্য টিকিটের দাম ধরা হয় তিন আনা। পরিকল্পনা ১৯৪৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের তদনীন্তন মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায় কলকাতার ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে শহরে একটি ভূগর্ভস্থ রেলপথ নির্মাণের কথা বিবেচনা করেন। এই মর্মে একটি ফরাসি বিশেষজ্ঞ দলকে দিয়ে সমীক্ষা চালানো হলেও, কোনো সুসংহত সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। দিল্লি ও অন্যান্য শহরগুলিতে শহরের উপরি ক্ষেত্রফলের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা নির্ভর হলেও কলকাতার ক্ষেত্রে তা মাত্র ৪.২ শতাংশ ফলে সমস্যার দ্রুত সমাধানের পরিকল্পনা করা শুরু হয়৷ এরপর ১৯৬৯ সালে কলকাতার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে মেট্রোপলিটান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (রেলওয়ে) নামে একটি প্রকল্প গৃহীত হয়। এই প্রকল্পের প্রতিবেদনে কলকাতার ট্রাফিক সমস্যার সমাধানে দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানানো হয়। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যানে কলকাতার জন্য মোট ৯৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাঁচটি মেট্রো লাইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই পাঁচটির মধ্যে তিনটিকে বেছে নেওয়া হয়৷ এগুলি হলো: দমদম – টালিগঞ্জ (লাইন ১, বর্তমানে এটি দক্ষিণেশ্বর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত) বিধাননগর – রামরাজাতলা (লাইন ২, বর্তমানে হাওড়া ময়দান শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম অবধি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা রয়েছে) দক্ষিণেশ্বর – ঠাকুরপুকুর (এটি বর্তমান দক্ষিণেশ্বর - সেণ্ট্রাল অবধি বিস্তৃত লাইন ১ ও সেণ্ট্রাল থেকে জোকা বিস্তৃত লাইন ৩ এর অন্তর্হিত এবং নির্মাণাধীন) এই তিনটি পথের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপিত হয় ব্যস্ততম উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত ১৬.৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট দমদম-টালিগঞ্জ লাইনটির উপর। ১৯৭২ সালের ১ জুন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। আনুমানিক ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রস্তাবিত লাইনটির কাজ পুরোপুরিভাবে সম্পূর্ণ করে দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়৷ নির্মাণকার্য ভারতের প্রথম মেট্রো হিসেবে কলকাতা মেট্রোটি খুবই প্রাথমিক স্তরের যন্ত্রপাতি দিয়ে নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কাট এন্ড কভার পদ্ধতি শিল্ড টানেলিং পদ্ধতি এইগুলি মূলত এই পর্যায়ে ব্যবহার করা হয় ফলে কলকাতা মেট্রো দীর্ঘতর প্রচেষ্টা-সফল পদ্ধতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়, তবে দিল্লি মেট্রোর ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার দিকেই লক্ষ্য রাখা হয়। ফলস্বরূপ কলকাতা মেট্রো প্রস্তাবের অনুমোদন পাওয়ার পরেও ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সুরঙ্গ রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ২৩ বছর সময় অতিবাহিত হয়। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে ২৯ ডিসেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। ১৯৭৩-৭৪ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ১৯৭৭-৭৮ সালে অর্থের জোগান বন্ধ থাকা, ভূগর্ভস্থ পরিষেবাগুলির স্থানান্তরণ, আদালতের নানা স্থগিতাদেশ, কাঁচামালের অনিয়মিত সরবরাহ ইত্যাদি কারণে প্রকল্প রূপায়ণে অযথা দেরি হতে থাকে।১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যেই তারা জনবহুল অঞ্চলের নীচে, নিকাশি নালার জল সরবরাহ লাইন ইন বৈদ্যুতিন তার টেলিফোনের তার ট্রামলাইন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খালগুলি অতিক্রম করে কাট অ্যান্ড কভার পদ্ধতিতে মেট্রোর কাজ এগিয়ে যেতে থাকে। এই সময় এনআইকেইএক্স হাঙ্গেরীয়ান কো-অপারেশন বুদাপেস্ট কোম্পানিটি এই প্রযুক্তি প্রদান করে। অবশেষে তদানীন্তন রেলমন্ত্রী আবু বারকাত আতাউর গণী খান চৌধুরীর বিশেষ উদ্যোগ, কর্মদক্ষতা, ও কূটনৈতিক দূরদৃষ্টির ফলে প্রকল্পের কাজে দ্রুততা আসে। ওই বছরই রাজস্ব থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মেট্রো বাবদ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয় এবং নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এবং তার সরকার এই বিল পাশ করান। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এসপ্ল্যানেড-ভবানীপুর (নেতাজি ভবন) ৩.৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট রুটে ভারতের প্রথম তথা এশিয়ার পঞ্চম মেট্রো পরিষেবা কলকাতা মেট্রোর উদ্বোধন করেন।তপন কুমার নাথ এবং সঞ্জয় শীল মহাশয় এই সময়ে কলকাতার প্রথম মেট্রো চালানোর দায়িত্বে ছিলেন। পরপর ওই বছরই ১২ নভেম্বর চালু হয় দমদম-বেলগাছিয়া ২.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট রুটটিও। উল্লেখ্য, এটিই কলকাতা মেট্রোর দীর্ঘতম স্টেশন দূরত্ব। ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল টালিগঞ্জ অবধি ৪.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রো সম্পসারিত হলে এসপ্ল্যানেড থেকে টালিগঞ্জ অবধি ১১টি স্টেশন নিয়ে ৯.৭৯ কিলোমিটার পথের কাজ সম্পূর্ণ হয়। ২২ নভেম্বর ১৯৯২ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া অংশটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ এই বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র অংশটি খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। টালিগঞ্জ অবধি সম্প্রসারণের দীর্ঘ আট বছর পরে ১৩ অগস্ট ১৯৯৪ তারিখে দমদম-বেলগাছিয়া শাখাটিকে ১.৬২ কিলোমিটার সম্প্রসারিত করে শ্যামবাজার অবধি নিয়ে আসা হয়। সেই বছরের ২ অক্টোবর তারিখে ০.৭১ কিলোমিটার এসপ্ল্যানেড-চাঁদনি চক শাখাটি চালু হয়। শ্যামবাজার-শোভাবাজার-গিরিশ পার্ক (১.৯৩ কিলোমিটার) ও চাঁদনি চক-সেন্ট্রাল (০.৬০ কিলোমিটার) শাখাদুটি চালু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ তারিখে। গিরিশ পার্ক থেকে সেন্ট্রালের মধ্যবর্তী ১.৮০ কিলোমিটার পথ সম্পূর্ণ হয় ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ তারিখে। এর ফলে বর্তমান মেট্রোলাইনটির কাজ সম্পূর্ণ হয়। ২০০৯ সালে টালিগঞ্জ (বর্তমানে মহানায়ক উত্তমকুমার) স্টেশন থেকে গড়িয়া বাজার (বর্তমানে কবি নজরুল) স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত নতুন মেট্রোপথের সূচনা করা হয়। ২০১৩ সালে দমদম থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত নতুন মেট্রোপথের সূচনা করা হয়। নির্মাণ পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো রুটের পুনরুদ্ধার সম্প্রসারণ পরিকল্পনা প্রধান পরিবর্তন নোয়াপাড়ায় একটি নতুন চার-প্ল্যাটফর্ম ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন নির্মান করা হয়। এটি লাইন ১ এবং লাইন ৪ এর মধ্যে একটি ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন হিসাবে কাজ করবে। আপাতত, মাত্র দুটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে একবার লাইন ৪ চালু হয়ে গেলে, চারটি প্ল্যাটফর্মই চালু হবে। বর্তমান এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনটি আপগ্রেড করা হচ্ছে এবং লাইন ১, লাইন ২ এবং লাইন ৩ এর মধ্যে ইন্টারচেঞ্জ করার জন্য নতুন মেট্রো স্টেশনের সাথে ভূগর্ভস্থ পথ তইরি করা হচ্ছে। নেটওয়ার্ক বর্তমানে চালু সম্পূর্ণ রেলপথ উত্তর–দক্ষিণ মেট্রো করিডোরে (লাইন ১) thumb|কবি নজরুল মেট্রো স্টেশন২২২.৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর (৬.২০ কিমি) অবধি মেট্রোর উত্তরমুখী সম্প্রসারণ ও অনুমোদিত হয় ২০১০-১১ সালের রেল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দমদম থেকে নোয়াপাড়া (২.০৯ কিমি) পর্যন্ত কাজটি ১০.৭.২০১৩ সালেচালু হয় এবং বারানগরে (২.৩৮ কিলোমিটার) লাইন ৫ এর সাথে আন্তঃবদল'সহ নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বরের অবধি আরভিএনএল দ্বারা নির্মিত হচ্ছে। এই বিভাগটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে খোলার কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই অংশের যাত্রী সংখ্যা হবে আনুমানিক ৫৫,০০০ জন। আনুমানিক ৫৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কলকাতা মেট্রোর বিদ্যমান ভারতীয় রেলওয়ের সংকেত ব্যবস্থা থেকে যোগাযোগ ভিত্তিক ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় উন্নীত কররা পরিকল্পনার প্রস্তাবটি কলকাতার মেট্রো রেলওয়ে সম্প্রতি ভারতীয় রেল প্রেরণ কঢ়ে, যাতে দুটি ট্রেন পরিচালনার মধ্যে সময়ের ব্যবধানটি ৫ মিনিট থেকে হ্রাস করে মাত্র ৯০ সেকেন্ডে করা যায়। ভারতীয় রেল প্রস্তাবটি এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং সংকেত ব্যবস্থার কাজ ২-৩ বছরের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্ব–পশ্চিম মেট্রো করিডোর (লাইন ২) হুগলি নদীর জলতলের তলদেশে মেট্রো লাইনের মাধ্যমে কলকাতাকে হাওড়ার সাথে সংযুক্ত করার জন্য ৪৮৭৪.৬ কোটি ($৭৫০ মিলিয়ন) টাকার প্রকল্প পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারার নির্মিত হচ্ছে। এই মেট্রো লাইনের দৈর্ঘ্য ১৪.৬৭ কিলোমিটার (৮.৯ কিমি ভূগর্ভস্থ এবং ৫.৭৭ কিমি উত্তোলিত) হওয়ার কথা ছিল। এই লাইনটি কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (কেএমআরসি) নামে একটি পৃথক সংস্থা তৈরি করবে। তবে, ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে এই লাইনের কাজগুলি কলকাতার মেট্রো রেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সর্বাধিক অংশীদারত্ব ভারতীয় রেলওয়ের অধীনে রয়েছে এবং বাকি অংশটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য জাপান ব্যাংক থেকে ঋণ হিসাবে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর আগে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন করার জন্য দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডকে নিয়োগ করে, তারপরে তহবিলের কারণে সরকারকে প্রকল্পটি স্থগিত রাখতে হয়। ১৯৮৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন কলকাতায় প্রথম মেট্রো পরিষেবা উদ্বোধন করেন তখন জলের তলদেশে মেট্রো রেলের পরিকল্পনার কথা ভাবা হয়। রুটটি ১২ টি স্টেশন (৬ টি উত্তোলিত, ৬ টি ভূগর্ভস্থ) নিয়ে গঠিত এবং একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে নদী অতিক্রম করে। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে রেলপথটি নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। লাইন ২-এর নির্মাণ কাজ ২০০৯ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়। তবে জমি অধিগ্রহণ ও বস্তি স্থানান্তরের সমস্যার কারণে প্রকল্পটি বেশ কয়েকবার স্থগিত হয়। জুন, ২০১৬ সালে রেলপথের নকশার একটি পুনর্নির্মাণ করা হয়, যার ফলে রেলপথের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৬.৫৫ কিমি (ভূগর্ভস্থ ১০.৮১ কিমি, ৫.৭৭ কিমি উত্তোলিত)। লাইন ১ এবং লাইন ৩ এর সাথে প্রস্তাবিত সংযোগটি এসপ্ল্যানেডে থাকবে। বৈদেশিক মুদ্রার লোকসান সহ সাথে বিলম্বের ফলে প্রকল্পের নির্মাণ খরচ ৮০% ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ₹৯০০০ কোটি টাকায় ($১.৫ বিলিয়ন ডলার) পৌঁছেছে। মহাকরণ (লাল দিঘি) এবং হাওড়া স্টেশনের মধ্যে হুগলি নদীর তলদেশে মেট্রো চলবে – ভারতের প্রথম জলের নিচে চলাচলকারী মেট্রো। লাইনটি সল্টলেক সেক্টর ৫ এবং সল্টলেক স্টেডিয়ামের মধ্যে উত্তোলিত পথে এবং বাকি অংশটি ভূগর্ভস্থ পথে নির্মিত। স্থানান্তর বা অদলবদল স্টেশনগুলি শিয়ালদা এবং হাওড়ায় অবস্থিত। সল্টলেক সেক্টর ৫ থেকে তেঘোরিয়ায় (হালদিরাম) পর্যন্ত একটি নতুন উত্তোলিত পথের অনুমোদিত হয়েছে। ₹৬৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সম্প্রসারিত ৫.৫ কিলোমিটার অংশটি নির্মিত হবে। তবে এখন পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করা হয়েছে এবং সল্টলেক সেক্টর ৫ থেকে লাইনটি প্রসারিত করা হবে। তেঘোরিয়া (হালদিরাম) থেকে যাত্রীরা লাইন ৬ দ্বারা (ভিআইপি রোড স্টেশন) দমদম বিমানবন্দরে যেতে পারবেন। নতুন সম্প্রসারিত অংশের স্টেশনগুলি হ'ল ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি লাইনটি সল্টলেক সেক্টর-৫ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত রেল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল উদ্বোধন করেন, নির্মাণ শুরুর ১১ বছর পরে। জোকা–এসপ্ল্যানেড মেট্রো (লাইন ৩) কলকাতা মেট্রো লাইন ৩ বা জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো হল কলকাতা মেট্রো এর একটি নির্নিয়মান লাইন।এটি দক্ষিণ কলকাতার জোকা থেকে মধ্য কলকাতার বিবাদি বাগ পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।এই পথের মোট দৈর্ঘ্য্য হবে ১৬.৭২ কিলোমিটার।এর মধ্যে ৮.২২ কিলোমিটার হল ভূগর্ভোস্থ ও ৮.৩২ কিলোমিটার হল উত্তলিত পথ।।এই মেট্রো পথের জোকা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত উত্তলিত পথে ও মোমিনপুর থেকে বিবাদিবাগ পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ পথে নির্মাণ করা হবে। এই যাত্রাপথে প্রস্তাবিত স্টেশন: [16] নোয়াপাড়া–বারাসাত মেট্রো (লাইন ৪) কলকাতা মেট্রো লাইন ৪ বা নোয়াপাড়া-বারাসাত মেট্রো দমদমের নোয়াপাড়া, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বারাসাতকে যুক্ত করবে। এই পথের মোট দৈর্ঘ্য ১৭.১৩ কিলোমিটার এবং এই মোট্রো পথে ৯ টি মেট্রো স্টেশন তৈরি হবে। বরানগর–ব্যারাকপুর মেট্রো (লাইন ৫) বরানগর এবং ব্যারাকপুর এর মাঝে নির্মিত হবে বরানগর-ব্যারাকপুর মেট্রো বা কলকাতা মেট্রো লাইন ৫। এই ১২.৪০ কিমি পথে মোট ১১ টি মেট্রো স্টেশন থাকবে। কবি সুভাষ–বিমানবন্দর মেট্রো (লাইন ৬) নিউ গড়িয়া স্টেশন থেকে শুরু হয়ে ইএম বাইপাস বরাবর কালিকাপুর, আনন্দপুর, রুবি, ভিআইপি বাজার, পরমা আইল্যান্ড, চিংড়িঘাটা হয়ে ডানদিকে বেঁকে নিকোপার্ক সেক্টর ফাইভ, টেকনোপলিস, নিউ টাউন হয়ে ভিআইপি রোডের ওপর হলদিরাম ছুঁয়ে মেট্রো পৌঁছবে দমদম বিমানবন্দরে। ৩২ কিলোমিটার রেলপথে মোট ২৬টি স্টেশন তৈরি হবে। পুরো রাস্তায় মেট্রো যাবে মাটির ওপর দিয়ে এলিভেটেড ট্র্যাকে শুধু মাত্র বিমানবন্দর এর কাছে এসে এই মেট্রো লাইন সুড়ঙ্গ পথে প্রবেশ করবে এবং বিমান বন্দরটি মাটির নিচে নির্মাণ করা হবে। বিমানবন্দর স্টেশনটি নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতানৈক্য মিটতেই এ বার এই প্রকল্পের জন্য কাজের বরাত দিয়ে দিল রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড. ২২ অক্টোবর তিনটি ঠিকাদার সংস্থাকে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার বরাত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ২০১১-২০১২ আর্থিক বছরের বাজেটে মোট ১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল বোর্ড. আরভিএনএল এবং মেট্রো কর্তাদের আশা, নভেম্বর থেকেই কাজ শুরু করে দেবে ওই তিন ঠিকাদার সংস্থা. কাজ শুরুর তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষ হয়ে যাবে বলেও তাদের আশা. সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের জুন মাস নাগাদ নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারিত হবে। ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর হয়ে বারাসত মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর কাজও চলছে. সবকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে মেট্রোর যাত্রীরা বেশ কয়েকটি স্টেশন থেকে ট্রেন বদল করে অন্য রুটের মেট্রোয় চড়তে পারবেন। বৈশিষ্ট্যসমূহ কারিগরি বৈশিষ্ট্যসমূহ ও নির্মাণপদ্ধতি মেট্রো পরিকাঠামোো বিনির্মাণ একটি অত্যন্ত জটিল কাজ। কারণ, এই কাজে একযোগে প্রয়োগ করতে হয় সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের একাধিক আধুনিক প্রযুক্তি। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারগণ তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বিদেশ থেকে আহরিত জ্ঞানকে সম্বল করে ভারতে প্রথম কয়েকটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটান কলকাতা মেট্রো সংস্থাপনকালে। ডায়াফ্রাম দেওয়াল ও শিট পাইলের সাহায্যে কাট অ্যান্ড কভার অর্থাৎ খনন ও ভরাটকরণ পদ্ধতিতে নির্মাণকাজ চালানো হয়। মাটির নিচে যখন খননকার্য চলছিল, তখন উপরের রাস্তায় ট্র্যাফিক পরিষেবা সচল রাখার জন্য প্রশস্ত ডেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। বায়ুচাপ ও এয়ারলক ব্যবহার করে সিল্ড টানেলিং করা হয়। ইলাস্টিক ফাস্টেনিং, রাবার প্যাড, এপক্সি মর্টার এবং নাইলন ইনসার্টস ব্যবহার করে ব্যাল্যাস্টবিহীন ট্র্যাক নির্মাণ করা হয়। স্টেশন ও সুড়ঙ্গের পরিবেশ নিয়ণকল্পে শীততাপ-নিয়ন্ত্রণ ও বায়ুচলনের ব্যবস্থা করা হয়। ট্র্যাকশনের জন্য তৃতীয় রেল কারেন্ট কালেকশনের ব্যবস্থা করা হয়। শুষ্ক ধরনের ট্রান্সফর্মার ও সিএফ-৬ সার্কিট ব্রেকার্স সহ ভূগর্ভস্থ সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়। টানেল ট্রেন ভিএইচএফ-রেডিও সংযোগ ব্যবস্থা রাখা হয়। মাইক্রোপ্রসেসর-ভিত্তিক ট্রেন নিয়ন্ত্রণ ও সাবস্টেশনগুলির জন্য তত্ত্বাবধায়কীয় রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থা চালু করা হয়। স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রয় ও পরীক্ষণ বা চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়। রোলিং স্টক সমগ্র রেকটি ভেস্টিবিউল-বেষ্টিত। রোলিং স্টক সরবরাহ করে চেন্নাইয়ের আইসিএফ এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে বেঙ্গালুরুর এনজিইএফ। এই রোলিং স্টকগুলি অদ্বিতীয়, কারণ ডবলিউএজি-৬ সিরিজের কয়েকটি লোকোমোটিভ ছাড়া এগুলি ভারতের একমাত্র এন্ড-মাইন্টেড ক্যাব দরজা-বিশিষ্ট। কলকাতা মেট্রোর ভূগর্ভস্থ রেল পরিষেবার জন্য আইসিএফ এই কোচগুলি বিশেষ নকশায় নির্মিত করে সরবরাহ করে। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল : ট্র্যাকশনের বিদ্যুৎসংযোগ তৃতীয় রেল বিদ্যুৎ সংগ্রহ ব্যবস্থায় লব্ধ হয়। স্বয়ংক্রিয় দরজা খোলা/বন্ধ হওয়ার ব্যবস্থা ও নিরবিচ্ছিন্ন ট্রানজিট পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। কোনওরকম মানবিক ব্যর্থতার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ট্রেন রক্ষণব্যবস্থা লব্ধ, এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক প্রযুক্ত হয়ে হয়। ট্রেনও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে। ড্রাইভার কেবল তত্ত্বাবধান করে থাকেন। আসন্ন স্টেশনের নাম ঘোষণা করে গণসম্বোধন ব্যবস্থাও চালু আছে। ট্রেন স্টেশনে উপস্থিত হলে সেই স্টেশনের নামও ঘোষণা হয়ে থাকে। এই ঘোষণা হয় বাংলায় এবং তারপর ঘোষণার হিন্দি ও ইংরেজি অনুবাদও সম্প্রচারিত হয়। ট্রেনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক ট্রেন ক্রিউ-এর যে কোনও সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এই ব্যবস্থায় সরাসরি যাত্রীদের সম্বোধন করে ঘোষণা করতে পারেন। এই সকল অত্যাধুনিক কলাকৌশলবিশিষ্ট কোচগুলির নকশা ও নির্মাণ অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও উচ্চমানের। সুরক্ষা ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে বিবেচিত হয়। কোনওরকম কারিগরি সহযোগিতা ছাড়াই যা লব্ধ হয়ে থাকে। সমগ্র ব্যবস্থাটি ২৩৫৬ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। আরও সম্প্রসারণ ২০১২ সালে রাইট্স শহরতলি অঞ্চলগুলিকে কলকাতা শহরের সাথে সংযোগ করার জন্য ১৬টি নতুন রুট নিরীক্ষণ করে। মূল রুটগুলি হ'ল: কাভি সুভাষ থেকে বারুইপুরে (ইএম বাইপাস হয়ে) হাওড়া ময়দান, শালিমার থেকে সাঁতরাগাছি (কোনা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ফরশোর রোড হয়ে) বালি হলট থেকে চন্দননগর জোকা থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার (ঠাকুরপুকুর হয়ে) ব্যারাকপুর থেকে কল্যাণী (কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে) জোকা থেকে ডায়মন্ড হারবার (ডায়মন্ড হারবার রোড হয়ে) মধ্যমগ্রাম থেকে ব্যারাকপুর (সোদপুর রোড এবং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে) বারাসত থেকে ব্যারাকপুরে (রাজ্য সড়ক ২ হয়ে) বসিরহাট থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার, কবি সুভাষ (হরোয়া এবং ভাঙ্গার হয়ে) মাঝেরহাট থেকে রুবি (কালিঘাট এবং বালিগঞ্জ হয়ে) সাঁতরাগাছি থেকে ধুলাগড় মালিকানা ও কার্যকারক পরিষেবা আসন সংরক্ষণ ২০০৮ সালে, কলকাতা মেট্রো রেল মহিলাদের জন্য দুটি সম্পূর্ণ কোচ সংরক্ষণের করার ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। ৪১ এই ব্যবস্থাটি অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয় এবং প্রচুর যাত্রীদের (মহিলা সহ) অসুবিধার কারণ হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনাটি মেট্রো কর্তৃপক্ষ বাতিল করে দেয়। এখন প্রতিটি কোচের মধ্যে আসনের একটি নির্দিষ্ট অংশ মহিলা, প্রবীণ নাগরিক এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত। কোচের প্রতিটি প্রান্তে ৪ টি আসন বিভাগ প্রবীণ নাগরিকদ ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত এবং কোচের মাঝের দুটি দরজার মধ্যবর্তী আসন বিভাগ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ভাড়া কাঠামো thumb|কলকাতা মেট্রোর পুরানো টিকিট|alt= মেট্রো রেলের ভাড়া নির্দিষ্ট নয়। দুরত্ব অনুসারে এই ভাড়া পরিবর্তিত হয়ে থাকে। একটি ত্রিবার্ষিক বিরতির পর সর্বশেষ ১ অক্টোবর ২০০১ তারিখে মেট্রোর ভাড়া পর্যালোচিত হয়েছিল। বর্তমানের ভাড়া কাঠামোটি নিম্নরূপ: alt=|থাম্ব|200x200পিক্সেল|কলকাতা মেট্রোর টোকেন টোকেন ১৯৮৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চৌম্বকীয় টিকিটিং স্ট্রিপ সিস্টেমটি ব্যবহার করার পরে, কলকাতা মেট্রো ২০১১ সাল থেকে সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস (সিআরআইএস) দ্বারা রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) টোকেন চালু করেছিল। পুরানো চৌম্বকীয় স্ট্রিপ রিডার গেটগুলি নতুন আরএফআইডি পাঠক দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। স্মার্ট কার্ড ট্যুরিস্ট স্মার্ট কার্ড দুর্গাপূজা বিশেষ পরিষেবা নিরাপত্তা অন্যান্য সুবিধা রাইডারশিপ বিঃদ্রঃ: ফেব্রুয়ারী ২০২০ পর্যন্ত তথ্য। পরিকাঠামো গাড়িসম্ভার ডিপো স্টেশন এবং বিদ্যুতায়ন সংকেত এবং টেলিযোগাযোগ জনসাধারণ সম্বোধন ব্যবস্থা সমস্যা যেহেতু কলকাতা মেট্রোটি ১৯৭০-এর দশকে নির্মিত হয়েছিল, তখন কিছু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ছিল। টানেলের মাপ এবং ভারতীয় রেলের অধীনে থাকার কারণে, কলকাতা মেট্রো ব্রডগেজ বোগির উপর মিটার গেজ শেল (২.৭ মিটার চত্তড়া) বেছে নেওয়া হয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ কলকাতার মেট্রোর ওয়েবসাইট (ইংরেজিতে) কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের প্রাগপ্রতিষ্ঠাকালীন ওয়েবসাইট আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:কলকাতা মেট্রো বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় রেল বিষয়শ্রেণী:দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা বিষয়শ্রেণী:ভারতে স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলওয়ে
কলকাতা মেট্রো
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (; জন্ম: ১৮ জুলাই, ১৯৮২) বিখ্যাত ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী,সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড , মানবহিতৈষী, লেখিকা এবং কণ্ঠশিল্পী। ২০০০ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড উপাধি লাভ করেন। ২০০২ সালে তামিল ঠামিজান চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক হয়। হিন্দি চলচ্চিত্রে তিনি সানি দেওলের বিপরীতে দ্য হিরো ছবির মাধ্যমে প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে আন্দাজ ছবির জন্য তিনি সেরা নবাগতা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ফ্যাশন ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী অর্জন করেন এবং টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশিত তালিকায় শীর্ষ ১০০ প্রভাবশালী নারী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। প্রারম্ভিক জীবন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ১৯৮২ সালের ১৮ জুলাই ভারতের বিহারের (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড) জামশেদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অশোক চোপড়া এবং মাতা মধু চোপড়া দুজনেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিকিৎসক। তার পিতা পাঞ্জাবি এবং আম্বালার অধিবাসী ছিলেন। তার মাতা ঝাড়খণ্ডের অধিবাসী। তার নানী মধ্য জ্যোৎস্না অখৌরি ছিলেন সাবেক বিহার মন্ত্রীসভার সদস্য এবং নানা মনোহর কিষাণ আখৌরি ছিলেন সাবেক কংগ্রেস রাজনীতিবিদ। প্রিয়াঙ্কার ভাই সিদ্ধার্থ তার থেকে সাত বছরের ছোট এবং পরিণীতি চোপড়া, মান্নারা চোপড়া ও মীরা চোপড়া তার চাচাত বোন। চলচ্চিত্র দা স্কাই ইজ পিনক (২০১৯) বাজীরাও মাস্তানী (২০১৫) কৃষ ৩ (২০১৩) জাঞ্জির (২০১৩) অগ্নিপথ(২০১২) বর্ফী! (২০১২) ডন ২ (২০১১) ডন (২০০৬) krrish(২০০৬) মুঝসে শাদী করোগী (২০০৪) গড তুসি গ্রেট হূ বরসাত দোস্তানা পুরস্কার ও সম্মাননা শিল্পকলায় অবদানের জন্য পদ্মশ্রী, ২০১৬ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৮২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ঝাড়খণ্ডের সঙ্গীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় পপ গায়িকা বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় হিন্দু বিষয়শ্রেণী:হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শিল্পকলায় পদ্মশ্রী প্রাপক বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ খল অভিনয়শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে আইফা পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জি সিনে পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে স্টারডাস্ট পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় কণ্ঠাভিনেত্রী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় খেলার অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী বিষয়শ্রেণী:ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত বিষয়শ্রেণী:ইন্টারস্কোপ রেকর্ডসের শিল্পী বিষয়শ্রেণী:আইল্যান্ড রেকর্ডসের শিল্পী
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
গন্ধরাজ লেবু (ইংরেজি: Gandha-raj Lemon; বৈজ্ঞানিক নাম: Citrus limonia (?)) এক প্রজাতির লেবু। লেবুর এই প্রজাতিটি পাতিলেবুর ন্যায় টক নয়। এটি সাধারণত: ভাতের পাতে খাওয়া হয়। মূল উত্স গন্ধরাজ লেবু মূলত বাংলাদেশ এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে দেখা যায়। বর্ণনা এই লেবুর এই প্রজাতিটি আকৃতিতে বাতাবী লেবুর ন্যায় বৃহদাকার। গাঢ় সবুজ বর্ণের এই লেবুটির গাত্র উচুঁ-নিচু প্রকৃতির এবং খোসা পিচ্ছিলজাতীয় মসৃণ। আরও দেখুন লেবু তথ্যসূত্র বহি:সংযোগ বাঙালির পাতে পারফিউম! - 'গন্ধরাজ লেবু' নিয়ে 'আনন্দবাজার পত্রিকা'য় প্রকাশিত একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা। বিষয়শ্রেণী:লেবু বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ফল বিষয়শ্রেণী:ভারতের ফল
গন্ধরাজ লেবু
ওমেগা পয়েন্ট হুমায়ুন আহমেদ রচিত একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক উপন্যাস। ওমেগা পয়েন্ট নিয়েই এর কাহিনী রচিত হয়েছে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রেফকে নিয়ে ওমেগা পয়েন্ট একটি গবেষণা চালায় যার মূল লক্ষ্য সময় সমীকরণের সমাধান। ওমেগা পয়েন্ট নিয়ে গুছিয়ে একটি গল্প দাড় করাবার চেষ্টা থেকেই হুমায়ুন আহমেদ বইটি লিখেছেন। চরিত্র রেফ / রফিক - যাকে নিয়ে ওমেগা পয়েন্ট গবেষণা চালাচ্ছে। শেফা - অতীত সময়ে রফিকের প্রেমিকা যার সাথে তার বিয়ে হয়। শেফ - প্রকৃত রেফের বর্তমান সময়ে রেফকে দেখাশোনার দায়িত্ব পালনকারী অষ্টম মাত্রার রোবট। তার মানবিক আবেগ রয়েছে। এমরান টি - ইতিহাসের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী। সময় সমীকরণ নিয়ে সে কাজ করছে। বিজ্ঞান কাউন্সিলের প্রধান। রেলা - এমরান টি'র সাথে সাথে থাকার দায়িত্বে নিয়োজিত নবম মাত্রার রোবট। একটি কিশোরী মেয়ে। সিডিসি - প্রধান কম্পিউটার। কাহিনীসংক্ষেপ আরও দেখুন হুমায়ূন আহমেদ হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম বহিঃসংযোগ তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:২০০০-এর বই বিষয়শ্রেণী:হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর উপন্যাস‎ বিষয়শ্রেণী:বাংলা উপন্যাস‎ বিষয়শ্রেণী:২০০০-এর বাংলাদেশি উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:বাংলা ভাষার বাংলাদেশী উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:বাংলা বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক উপন্যাস
ওমেগা পয়েন্ট (উপন্যাস)
শায়খ আবদুর রহমান, (মৃত্যু: মার্চ ৩০, ২০০৭) জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবির সর্বোচ্চ নেতা। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় (মুন্সিগঞ্জ বাদে) এক সাথে বোমা হামলা চালিয়েছিল জেএমবি। গত শতকের শেষ দশকে গঠিত এই দলটি রাজশাহীর বাগমারায় উগ্র বামপন্থীদের দমনের নামে অনেকগুলি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। সরকার জেএমবি-সহ চারটি দল নিষিদ্ধ করে। ঝালকাঠির দুই বিচারককে হত্যা দায়ে আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাহউদ্দিনকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ইসলামপন্থী বিষয়শ্রেণী:২০০৭-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশী
শায়খ আবদুর রহমান
বাংলালিংক, বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জিএসএম ভিত্তিক মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৬৪ মিলিয়ন। প্রতিষ্ঠানটি ওরাসকম টেলিকম বর্তমান গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেড এর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি ছিল। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে বাংলালিংক বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী মোবাইল ফোন সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিটিবি সংযোগ থেকে মোবাইল ফোনে বিনামূল্য টেলিফোন কল ধরার সুযোগ করে দেয়। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ১.০৩ মিলিয়ন। পরবর্তী বছরে এসংখ্যা ২৫৩ শতাংশ বেড়ে দাড়ায় ৩.৬৪ মিলিয়ন গ্রাহকে। ২০০৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬.০৪ মিলিয়নে। ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করার এক যুগ পর বাংলাদেশে বাংলালিংক সংযোগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মোবাইলে যোগাযোগকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী করে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংক-এর সাফল্যের মূলে ছিল একটি সাধারণ মিশন, ‘মোবাইলে যোগাযোগকে সবার নাগালে আনা’, যেটি বাংলালিংক-এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড টেলিকম ভেনচারস লিমিটেডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান, যা গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেড-এর ১০০% মালিকানাধীন একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ভিওন লিমিটেড ও উইন্ড টেলিকম এস.পি.এ-এর ব্যবসা একীভূত হওয়ার পর থেকে ভিওন এখন গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেড-এর ৫১.৯% শেয়ারের স্বত্বাধিকারী। ভিওন NASDAQ ও ইউরোনেক্সট আমস্টারডাম-এর তালিকাভুক্ত সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৩৫ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহকের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে বিপ্লব সৃষ্টি করা। রাশিয়া, ইতালি, আলজেরিয়া, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাকস্তান, ইউক্রেন, বাংলাদেশ ও লাওস-এ এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সেবা প্রদান করে আসছে। বিলাইন, কাইভস্টার, উইন্ড, জ্যাজ, বাংলালিংক ও জেজি নামে ভিওন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ইতিহাস ১৯৮৯ সালে সেবা টেলিকম (প্রা.) লিমিটেড ১৯৯ টি গ্রামীণ উপজেলায় টেলিফোন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিবন্ধীকরন করে।। পরবর্তীকালে তারা সেলুলার রেডিও-টেলিফোন সেবার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম বর্ধিত করে। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে ওরাসকম টেলিকম সেবা টেলিকমের মালয়েশিয়ান অংশীদারীত্ব কিনে নেয়। এর কারণ ছিল বাংলাদেশে ব্যবসা প্রসারে মালয়েশিয়ান অংশীদারের ব্যর্থতা। ওরাসকমের সাথে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি গোপনে সম্পাদিত হয়। বিভিন্ন আইনগত ঝামেলা এড়াতে এই গোপন চুক্তি হয়েছিল। গোপনে এই চুক্তি করার প্রধান কারণ ছিল, বাংলাদেশী ও মালয়েশীয় অংশীদারের মধ্যে চুক্তি বিদ্যমান থাকায় যেকোন পক্ষ শেয়ার বিক্রয় করতে চাইলে অন্য পক্ষ তা কেনার প্রথম সুযোগ পাবে। ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএসএল), যারা সেবা টেলিকমের বাংলাদেশী অংশীদার, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মালয়েশীয় অংশীদার টেকনোলজি রিসোর্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর শেয়ার ১৫ মিলিয়ন ডলারে কিনেছে বলে দেখানো হয়। আইএসএল পরে আরো ১০ মিলিয়ন ডলার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে পরিশোধ করে সেবার দায় শোধ করে। সেবা টেলিকমের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫৯,০০০ যাদের মধ্যে বিক্রির সময় নিয়মিত গ্রাহক ছিল মাত্র ৪৯,০০০। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওরাসকম টেলিকম সেবা টেলিকমের ১০০% শেয়ার কিনে নেয়। এরা ৬০ মিলিয়ন ডলার মূলধন বিনিয়োগ করে এবং টেলিফোন ব্র্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে রাখে বাংলালিংক। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলালিংক নামে এরা পুনরায় যাত্রা শুরু করে। বাংলালিংকের লাইসেন্স ১৫ বছর মেয়াদী এবং মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০১১ সালের নভেম্বরে। গত বছরও তারা ৩জি সেবা দিলেও ২০১৮ সালের মার্চে থেকে তারা ৪জি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য বরাদ্দকৃত নাম্বার হচ্ছে (+৮৮)০১৯xxxxxxxx (+৮৮)০১৪xxxxxxxx আরও দেখুন টেলিটক গ্রামীণফোন রবি এয়ারটেল তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানি বিষয়শ্রেণী:১৯৯৯-এ প্রতিষ্ঠিত
বাংলালিংক
কোচবিহার বা কুচবিহার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার জেলাসদর ও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। কোচবিহারের উত্তরপূর্বে আসাম রাজ্য, এছাড়াও আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাাদেশের সাথে৷ শহরটি কোচবিহার সদর মহকুমার কোচবিহার ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক-এ অবস্থিত৷ জনসংখ্যার উপাত্ত ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কুচ বিহার শহরের জনসংখ্যা হল ৭৭,৯৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৮২%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৬% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৭%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কোচবিহার এর সাক্ষরতার হার বেশি। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনীতি একাডেমী মণীন্দ্রনাথ হাইস্কুল রামভোলা হাইস্কুল এ.বি.এন. শীল কলেজ উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষন ও সান্ধ্য মহাবিদ্যালয় মহারানী ইন্দিরা দেবী বালিকা বিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি বি. টি এন্ড ইভিনিং কলেজ Coochbehar College (NAAC-B++) জামালদাহ তুলসী দেবী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিবহন কোচ বিহার জেলা সড়কপথ, রেলপথ, এবং অকাশপথে পারিবহন ব্যাবস্থা রয়েছে | প্রধান রেল স্টেশন "নিউ কোচ বিহার এছাড়া কোচ বিহার, দিনহাটা, বামনহাট, মাথাভাঙ্গা,তুফানগঞ্জ রেল স্টেশন রয়েছে| 31 নং জাতীয় সড়ক উত্তরপূর্বে কোচ বিহার দিয়ে অসম রাজ্যর যুক্ত হয়েছে| কোচবিহার বিমানবন্দর প্রধান বিমানবন্দর| দর্শনীয় স্থান রাজবাড়ী মদনমোহন মন্দির সাগর দীঘি শালবাগান প্রভৃতি। জামালদাহ অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম তিনবিঘা করিডোর আরও দেখুন সুকটাবাড়ি বগুলা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর বিষয়শ্রেণী:কোচবিহার জেলার শহর
কোচবিহার
বরিশাল সদর বাংলাদেশের বরিশাল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান উত্তরে বাবুগঞ্জ উপজেলা ও মুলাদি উপজেলা, পূর্বে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা ও হিজলা উপজেলা, দক্ষিণে নলছিটি উপজেলা ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে ঝালকাঠি সদর উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ড ছাড়াও বরিশাল সদর উপজেলায় বর্তমানে ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মোট ৪টি মেট্রোপলিটন থানার আওতাধীন। জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরিশাল সদর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৫,২৭,০১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,৬৭,২০৭ জন এবং মহিলা ২,৫৯,৮১০ জন। মোট পরিবার ১,১৪,৭৭৪টি। শিক্ষা ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরিশাল সদর উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬৯.৩%। উল্লেখযোগ্য স্থান লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি কড়াপুর মিয়া বাড়ি মসজিদ গজনীর দিঘি বিবির পুকুর বেলস পার্ক (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) অশ্বিনীকুমার টাউন হল বিভাগীয় যাদুঘর (কালেক্টরেট ভবন) বরিশাল জিলা স্কুল ব্রজমোহন কলেজ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু অক্সফোর্ড মিশন এপিফানী গির্জা শঙ্কর মঠ কীর্তনখোলা নদী মুক্তিযোদ্ধা পার্ক বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ত্রিশ গোডাউন পার্ক, বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধ স্মৃতি ৭১, নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমি, ওয়াপদা কলোনি, বরিশাল কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি ও গ্রন্থাগার পাবলিক স্কয়ার প্লানেট পার্ক শহীদ সুকান্ত আবদুল্লাহ শিশু পার্ক গ্রীণ সিটি পার্ক পদ্ম পুকুর স্বাধীনতা পার্ক শহীদ কাঞ্চন উদ্যান শহীদ গফুর ও শহীদ শুক্কুর পার্ক মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান পার্ক চারণ কবি মুকুন্দ দাস কালী মন্দির চৌমাথা লেক নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল বরিশাল শিক্ষা বোর্ড তথ্যসুত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বরিশাল জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বরিশাল বিভাগের উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বরিশাল সদর উপজেলা
বরিশাল সদর উপজেলা
ধুনট বাংলাদেশের বগুড়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বগুড়া জেলা হতে দক্ষিণ পূর্বে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে ধুনট উপজেলা অবস্থিত। অনেক জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তির জন্ম এই ধুনটে। অবস্থান thumb|উপজেলার সড়ক অবস্থানঃ ২৪°৩২´ থেকে ২৪°৪৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৮´ থেকে ৮৯°৪০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানাঃ এ উপজেলার উত্তরে গাবতলী উপজেলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা, দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে শাহজাহানপুর উপজেলা ও শেরপুর উপজেলা, পূর্বে কাজীপুর উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা ধুনট থানা গঠিত হয় ১৯৬২ সালে এবং থানা উপজেলায় রুপান্তরিত হয় ১৯৮৩ সালে। উপজেলায় গ্রাম রয়েছে ২১২ টি। এই উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো: নিমগাছি ইউনিয়ন কালের পাড়া ইউনিয়ন চিকাশী ইউনিয়ন গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন ধুনট ইউনিয়ন এলাঙ্গী ইউনিয়ন, ধুনট চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন মথুরাপুর ইউনিয়ন গোপালনগর ইউনিয়ন এছাড়া রয়েছে ধুনট পৌরসভা যা ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিহাস জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে মোট জনসংখ্যা ২,৯২,৪০৪ জন। প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১১৮০ জন। বর্তমানে লোকসংখ্যা আনুমানিক ৪,৫০,০০০ হবে। শিক্ষা এখানে আছে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ধুনট উপজেলা সদরের ধুনট এন ইউ পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অত্র এলাকার শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় যা ১৯৪১ সালে স্থাপিত। গোসাইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত ১৯১৮। মেয়েদের জন্য শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ধুনট পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত ১৯৭৭। উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ধুনট সরকারি কলেজ স্থাপিত ১৯৭২। ধুনটের মথুরাপুর ইউনিয়নে আছে মুলতানী পারভীন শাহ'জাহান তালুকদার স্কুল এবং কলেজ, যা ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আছে জি.এম.সি ডিগ্রি কলেজ। পিরহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, ছাতিয়ানী রোকেয়া ওবেদুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ও গোপালনাগর উচ্চ বিদ্যালয়সহ প্রায় ১০০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। রয়েছে জালশুকা হাবিবুর রহমান কলেজ যা ধুনটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ! ধুনট মহিলা কলেজ স্থাপিত ১৯৯৬। রয়েছে বিখ্যাত পাঁচথুপি নছরতপুর জাহের আলী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় যা ১৯৭১ সালে নির্মিত। ইসলামি শিক্ষার জন্য আছে সবথেকে পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোড়খালী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা স্থাপিত ১৯১১। মাঠপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্হাপিত ১৯৯৩। কান্তনগর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত ১৯৯৬ অর্থনীতি ধুনটে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই ভালো। কৃতী ব্যক্তিত্ব ড. মাহফুজুর রহমান, চেয়ারম্যান, এটিএন বাংলা। ড. আলী আকবর, উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ড. আমিনুল হক, উদ্ভাবক, রাবি ধান-১ মো. হাবিবর রহমান, জাতীয় সংসদ সদস্য,বগুড়া-৫ এডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস রুপা,সহকারী এটর্নি জেনারেল,সুপ্রীম কোর্ট বাংলাদেশ শামসুল বারী, জাতীয় হকি খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক আবু সাইয়ীদ, চলচ্চিত্র পরিচালক শাহজাহান আলী তালুকদার, সাবেক সাংসদ ডা.গোলাম সরয়ার, সাবেক সাংসদ বিবিধ প্রধান নদীঃ যমুনা, বাঙ্গালী ও ইছামতী তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বগুড়া জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ধুনট উপজেলা
ধুনট উপজেলা
বাগাতিপাড়া বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। উত্তরে-নাটোর সদর,দক্ষিণে-লালপুর ও বাঘা উপজেলা,  পূর্বে-বড়াইগ্রাম উপজেলা এবং পশ্চিমে-চারঘাট উপজেলা। নাটোর সদর থানার দক্ষিণে মাত্র ৫ টি ইউনিয়ন যথাক্রমে পাঁকা, জামনগর, বাগাতিপাড়া, দয়ারামপুর ও ফাগুয়াড়দিয়াড়  ইউনিয়ন নিয়ে ১৯০৬ সালে বাগতিপাড়া পুলিশ স্টেশন স্থাপিত হয়। প্রথমে থানার নাম ছিল বাগদী পাড়া। কথিত আছে তৎকালিন রেনউইক কম্পানী এবং নীলকর সাহেবগণ স্থানীয় বাগদীদের দ্বারা প্রজাদের উপর অত্যাচার ও নীপিড়ন চালাত। যার ফলে তাদের প্রতি ঘৃণার নিদর্শন স্বরূপ বাগদীপাড়া পুলিশ স্টেশনের নাম করন করা হয় বাগাতিপাড়া। অবস্থান উত্তরে – নাটোর সদর উপজেলা, দক্ষিণে – লালপুর উপজেলা ও বাঘা উপজেলা, পূর্বে – বড়াইগ্রাম উপজেলা এবং পশ্চিমে – চারঘাট উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা বাগাতিপাড়ায় পৌরসভার সংখ্যা ১টি। যেটি হচ্ছেঃ বাগাতিপাড়া। আর এই উপজেলার ইউনিয়নগুলি হল- পাঁকা ইউনিয়ন জামনগর ইউনিয়ন বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন দয়ারামপুর ইউনিয়ন ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন ইতিহাস অষ্টাদশ শতকের অর্ধবঙ্গেশ্বরী রাণী ভবানীর স্মৃতি বিজড়িত বিদগ্ধ প্রকৃতি প্রেমী কবি জীবনানন্দ দাশের কল্পলোকের প্রেয়সী বনলতা সেন, রসনাতৃপ্ত সু-স্বাদু অবাক সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা আর দৃষ্টি নন্দন অপূর্ব কারুকার্য্য খচিত উত্তরা গণভবন খ্যাত ঐতিহ্যবাহী নাটোর জেলার ছোট একটি উপজেলা বাগাতিপাড়া। মালঞ্চি রেলওয়ে স্টেশনের ২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে বড়াল নদীর পূর্ব তীরে বাগদী পাড়া নামক স্থানে নাটোর সদর থানার দক্ষিণে মাত্র ৫ টি ইউনিয়ন যথাক্রমে পাঁকা,জামনগর,বাগাতিপাড়া,দয়ারামপুর ও ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন নিয়ে ১৯০৬ সালে বাগতিপাড়া পুলিশ স্টেশন স্থাপিত হয়। প্রথমে থানার নাম ছিল বাগদী পাড়া। কথিত আছে তৎকালিন রেনউইক কম্পানী এবং নীলকর সাহেবগণ স্থানীয় বাগদীদের দ্বারা প্রজাদের উপর অত্যাচার ও নীপিড়ন চালাত। যার ফলে তাদের প্রতি ঘৃণার নিদর্শন স্বরূপ বাগদীপাড়া পুলিশ স্টেশনের নাম করন করা হয় বাগাতিপাড়া। এর পর ১৯৬২ সালে মালঞ্চি রেলওয়ে স্টেশনের ০.৭ কিঃ মিঃ দক্ষিণে রেল লাইনের পশ্চিম পার্শ্বে বড়াল নদীর উত্তর তীরে ১৬ একর ৭৭ শতাংশ অপেক্ষাকৃত নিঁচু জমিতে থানা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র (টিটিডিসি) স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ১৫ এপ্রিল প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ধারাবাহিকতায় মান উন্নীত থানা বাগাতিপাড়া উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। উপজেলা সদর থেকে ৬ কিঃ মিঃ পশ্চিমে নুরপুর মালঞ্চি গ্রামে হযরত শাহ মোকাররম দানেশমান্দ(রঃ) সহ তার কয়েকজন আওলিয়ার মাজার শরিফ অবস্থিত। উক্ত মাজার জিয়ারতের জন্য প্রতি বছর সেখানে হাজার হাজার ধর্মভীরু মানুষের সমাগম ঘটে। হযরত শাহ মোকাররম দানেশমান্দ(রঃ) এর মাজার পাশেই একটি অপেক্ষাকৃত ছোট কবর আছে যা তার সঙ্গী বাঘের কবর বলে জনশ্রুতি আছে। সম্ভবত এ জন্যই স্থানটির বর্তমান নাম বড়বাঘা বলে পরিচিত। ১৮৯৪ সালে দিঘাপতিয়া রাজ বংশের রাজা প্রমোথনাথ রায়ের একমাত্র কন্যা রাজকুমারী ইন্দ্র প্রভার বিয়ে হয় এই গ্রামেরই জমিদার মহিন্দ্র কুমার শাহ চৌধুরীর সঙ্গে। তাদের প্রাসাদের ধবংসাবশেষ এখনও পুরাতন ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করছে। ঊনুবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বৃটিশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রেনউইক কোম্পানী বর্তমান উপজেলা পরিষদের ১.৫ কিঃ মিঃ পশ্চিমে নওশেরা গ্রামে তাদের কারখানার একটি শাখা স্থাপন করেন। এখানে দেশীয় আখমাড়াই কল তৈরী করা হত। যা জনসাধারণের মধ্যে ভাড়ায় বিতরণ করে কোম্পানী বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করত। ১৯৬২ সালে কলকারখানা যন্ত্রপাতি কোম্পানী তাদের কুষ্টিয়া শাখায় স্থানান্তর করে নিয়ে যায়। বর্তমানে এইখানে একটি অট্রালিকা ও কারখানার ছাওনি বিদ্যমান আছে। এককালে বাংলার জনসাধারণের মধ্যে নীল চাষের জন্য নীলকর সাহেবদের অত্যাচার নীপিড়ন থেকে এ এলাকাও বাদ যায়নি। উপজেলা পরিষদ থেকে ২ কিঃ মিঃ পশ্চিমে বড়াল নদীর অপর পার্শ্বে বর্তমান রায় পরিবারের আম্রকাননের মনোরম পরিবেশে নীল কুঠির অবস্থান ছিল। ১৮৯৪ সালে দিঘাপতিয়া রাজস্টেটের রাজা প্রমথ নাথ রায় তার কনিষ্ঠ তিন পুত্রের জন্য অত্র উপজেলার নন্দীকহজা মৌজায় একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। নন্দীকহজা মৌজার এ রাজস্টেট গড়ে ওঠে দিঘাপতিয়া রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা দয়ারামের নামে। তাঁর নাম অনুসারেই ইউনিয়নের নামকরণ করা হয় দয়ারামপুর । প্রাসাদ সংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে কাদিরাবাদ সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে এবং দয়ারামপুর ইউনিয়ন ভেঙ্গে ফাগুয়াড়দিয়াড় নামে আরো একটি নতুন ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা সদরের প্রায় ১৬ কিঃ মিঃ পশ্চিমে জামনগর ইউনিয়নের শাখারী পাড়া গ্রামটি সুপ্রাচীন কাল হতে শঙ্খ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। সুদুর শ্রীলঙ্কা থেকে শংঙ্খ আমদানী করা হয় এবং প্রক্রিয়াজাত করে এখানে বিভিন্ন  রকমের শাঁখার অলংকার তৈরী করে সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে প্রায় দু‌শো পরিবার এই শিল্পের মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। ১৯৪৬ সালে অত্র উপজেলার জামনগর ইউনিয়নে সর্বপ্রথম একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হয় এবং এর প্রায দু‌বছর পর ১৯৪৮ সালের ৮ই আগস্ট জেলা কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে লক্ষণহাটি দাতব্য চিকিৎসালয় নামে বিহারকোর মোড়ে আরো একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হয় যা পরবর্তীকালে সত্তোর দশকের শেষের দিকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে ৩১ শয্যার হাসপাতালে রুপান্তরিত হয়ে এলাকার বিপুল জন গোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করছে। বর্তমানে এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামে পরিচিত। ঐতিহ্য নাটোর জেলাধীন বাগাতিপাড়া উপজেলা একটি প্রসিদ্ধ উপজেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। এ উপজেলা এক সময় ঐতিহ্যমন্ডিত ছিলো। এক সময় বাগাতিপাড়া  মৃতশিল্প ও কাসাঁ শিল্পে বিখ্যাত ছিলো। তবে বর্তমানে বাগাতিপাড়ার শাখাঁ শিল্প বেশ সমাদৃত এবং প্রসিদ্ধ। আর বাগাতিপা'ড়ার ঐতিহ্য ছিলো কাঠের চাকা তৈরি । বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গরু এবং মহিষের গাড়ীর জন্য এখান হতে কাঠের চাকা কেনার জন্য আসতেন এ বাগাতিপাড়া উপজেলায়। ভাষা ও সংস্কৃতি ভাষা বাগাতিপাড়া উপজেলা ভাষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্রময়। বাগাতিপাড়া উপজেলার জনসাধারণ যে ভাষায় কথা বলে তা বাংলা ভাষার পাঁচটি উপ-ভাষার অন্যতম উপ-ভাষা বরেন্দ্রী‘র অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য এলাকার মতো এখানেও দলিল দস্তাবেজ লেখা তথা দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে বাংলা ভাষার সাধু রুপ প্রচলিত। তবে এলাকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী চলিত ভাষায় লেখালেখি করা বা কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ নিজ নিজ অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় (কথ্য ভাষায়) কথা বলে অভ্যস্ত যা অস্টিক ভাষা দ্বারা প্রভাবিত। সময়ের বিবর্তনে এখন অফিস আদালতে সাধু ভাষার ব্যবহার ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে এবং চলিত বা শিষ্ট ভাষার ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। লক্ষণীয় বিষয় বাগাতিপাড়া উপজেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু আদিবাসী যেমন সাঁওতাল, ওরাও, বুনো, পাহাড়ী, ভূঁইমালি, বাগদী, কামার ইত্যাদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বাস করে। এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাথে বাস করে তারাও এখন বাংলা ভাষাতেই কথা বলে। তবে পারিবারিক, সামাজিক বা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে তারা নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি ব্যবহার করে থাকে। সংস্কৃতি প্রাচীনকালে কৃষি, মাছধরা, মাটির তৈজস পত্র তৈরী ও মাতৃ-আরাধনার মাধ্যমেই বাগাতিপাড়া উপজেলায় সংস্কৃতির গোড়া পত্তন হয়। এছাড়া নৌকা, গরুর গাড়ী, লাঙ্গল নির্মাণ, কাঠ ও বাঁশের বেড়ায় কাদা-মাটির আস্তরন দিয়ে গৃহ নির্মাণ, পাতা ও খড়ের ছাউনিযুক্ত কুঁড়েঘর নির্মাণও ছিল তৎকালীন সংস্কৃতির উলেস্নখযোগ্য দিক। কালক্রমে শাঁখার অলংকার এবং বাঁশ ও বেতের আসবাব পত্র তৈরী এই জনপদে চলমান সংস্কৃতির ধারায় নতুন মাত্রা যুক্ত করে। রাজনৈতিক ও ভৌগলিক সীমানা ডিঙ্গিয়ে সংস্কৃতির এই বন্ধন অনেক দুর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। শুরু থেকেই উৎসবপ্রিয় এই জনপদের মানুষ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও লোকজ উৎসব-পার্বন উদযাপনসহ সংস্কৃতির বৈচিত্রময় ধারার সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ লোক সংস্কৃতি যথা পাঁচালী, জারী, সারি, ভাটিয়ালি, ভা্ওয়াইয়া, মুর্শিদী, পালাগান, কবিগান, আলকাফ গান, মনসার গান, যাত্রা, নাটক , সাপখেলা, লাঠিখেলা, বদন ও হাডুডু খেলা। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে উপজেলার গালিমপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় গিরিশ নাট্য মন্দির যেখানে অভিনয় করেছেন এদেশের তৎকালীন বিখ্যাত নট-নটীরা। উপজেলার বিনোদন এবং সংস্কৃতি চ্চর্চার প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠে এই নাট্য মন্দির। প্রখ্যাত প্রত্নতত্ববিদ শরৎ কুমার রায় এই উপজেলার অন্তর্গত দয়ারামপুর রাজবংশের রাজকুমার। অত্র উপজেলায় উদযাপিত উৎসবসমুহ নিম্নে শ্রেণী ভিত্তিক উল্লেখ করা হলোঃ লোকজ উৎসব গার্সী, নবান্ন উৎসব, পৌষ সংক্রান্তি, তেইরি, চৈত্র সংক্রান্তি ইত্যাদি। ধর্মীয় উৎসব (ক) সনাতন ধর্মীয়ঃ জন্মাষ্টমী, শিব রাত্রী, দুর্গা পূজা, লক্ষী পূজা, শ্যামা পূজা, বাসন্তী পূজা, স্বরসতী পূজা, শীতলা পূজা, মনসা দেবীর পূজা, রাস পূজা, রথযাত্রা, দোলযাত্রা ইত্যাদি। (খ) ইসলাম ধর্মীয়ঃ ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, ঈদুল ফিত্‌র, ঈদুল আয্হা, শবে মিরাজ, শবে বরাত, শবে কদর, আখেরী চাহার সোম্বা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম, মহররম ইত্যাদি। (গ) খ্রিষ্ট ধর্মীয়ঃ বড় দিন (খ্রিস্টমাস ডে), গুড ফ্রাইডে, ইস্টার সানডে ইত্যাদি। (ঘ) বৌদ্ধ ধর্মীয়ঃ বুদ্ধ পূর্ণিমা, আষাঢ়ী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা ইত্যাদি। সামাজিক উৎসব বিয়ে-শাদী, খত্না, আকিকা, অন্নপ্রাসন, গড়গড়ি দেওয়া ইত্যাদি। কালের বিবর্তনে এসবের অনেক কিছুই এখন বিলুপ্ত প্রায়। তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি ও বিশ্বায়নের ফলে আকাশ সংস্কৃতির অবাদ প্রবাহে বর্তমানে  গতিহারা দেশীয় সংস্কৃতি। ভীনদেশী সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার আদি সংস্কৃতি। তবে সময়ের প্রয়োজনে স্বাধীন বাংলাদেশে যুক্ত হয়েছে উৎসবের নতুন অনুসঙ্গ। যেমন পহেলা বৈশাখ, মহান স্বাধীনতা দিবস, মহান বিজয় দিবস, শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শোক দিবস। সারা দেশের মতো সার্বজনীনন উৎসব পহেলা বৈশাখ এখন এই জনপদের মানুষেরও প্রানের উৎসবে পরিনত হয়েছে। সেই সাথে সকল জাতীয় ও আমত্মর্জাতিক দিবস সমুহ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয় এই উপজেলায়। জনসংখ্যার উপাত্ত মোট জনসংখ্যা ১,৩১,০০৪ জন | পুরুষ ৬৫০৫৪ জন এবং মহিলা ৬৫৯৫০ জন | শিক্ষা উপজেলাটিতে শিক্ষার গড় হার ৫৬.৫০% বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৫৬ টি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল - ১৪ টি এবতেদায়ী মাদরাসা - ৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৪৩ টি মাদরাসা - ৭ টি মহাবিদ্যালয় - ১০ টি কারিগরী মহাবিদ্যালয় - ৬ টি ৮. বিশ্ববিদ্যালয় - ১ টি অর্থনীতি বাগাতিপাড়া উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এর বিস্তৃত উর্বর ফসলি জমিগুলোতে উৎপন্ন হচ্ছে নানা জাতের ফসল। আর পশুপালন এখানে অর্থনৈতিক অবস্থার অন্যতম শক্তি। মোট আবাদী জমির পরিমাণ: ১১৬০০ হেক্টর প্রধান ফসলসমূহ: ইক্ষু, ধান, গম, মসুর ডাল, মুগ ডাল, সরিষা, তিল, পেয়াজ, রসুন, পান উৎপন্ন ফল-মূলসমূহ: আম, জাম, কলা, কাঁঠাল, লিচু, বরই, তরমুজ, পেয়ারামালটা, পেঁপে উল্লেখযোগ্য এছাড়াও পশুপালনের জন্য এ উপজেলায় গড়ে উঠেছে ৩টি প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র , ডেইরী ফার্ম ৩০টি, পোল্টি ফার্ম ৮১ টি। এছাড়াও হাঁস হ্যাচারি রয়েছে ১টি | দর্শনীয় স্থানসমূহ দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, নীল কুঠি, গালিমপুর ব্রিজ, বড় বাঘা, বড়াল নদী কাদিরাবাদ সেনানিবাস তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বাগাতিপাড়া উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:নাটোর জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:বাগাতিপাড়া উপজেলা
বাগাতিপাড়া উপজেলা
right|thumb|মধুর রেস্তোরার নামফলক right|thumb|মধুর রেস্তোরা মধুর রেস্তোরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁ। এটি '"মধুর ক্যান্টিন"' নামে অধিক পরিচিত। প্রয়াত মধুসূদন দে'র স্মৃতি স্মরণে স্থাপিত একটি বিখ্যাত রেস্তোরাঁ। ১৩৭৯ বঙ্গাব্দের ২০শে বৈশাখ ক্যান্টিনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনীতি, সংস্কৃতি চর্চা এবং আড্ডার জন্য মধুর ক্যান্টিনের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। ক্যান্টিনটির সামনেই মধু’র একটি ভাস্কর্য রয়েছে। মধুর ক্যান্টিন আধুনিক ওয়াই-ফাই সুবিধায় বেষ্টিত। ইতিহাস ঊনিশ শতকের প্রথম দিকে বিক্রমপুরের শ্রীনগরের জমিদারদের সাথে নকরীচন্দ্রের ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ব্যবসা প্রসারের উদ্দেশ্যে নকরীচন্দ্র তার দুই পুত্র আদিত্যচন্দ্র ও নিবারণ চন্দ্রকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারা জমিদার বাবুর জিন্দাবাজার লেনের বাসায় আশ্রয় নেন। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে নকরী চন্দ্র পুত্র আদিত্য চন্দ্রের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যবসা প্রসারের দায়িত্ব দেন। নকরীচন্দ্রের মৃত্যুর পর আদিত্য চন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের মাধ্যমে তার ব্যবসা শুরু করেন। ব্রিটিশ পুলিশ এ সময় ক্যাম্পাসের আশপাশের ব্যারাক ও ক্যাম্প প্রত্যাহার করার উদ্যোগ নিলে আদিত্য চন্দ্র ব্রিটিশ পুলিশের কাছ থেকে ৩০ টাকার বিনিময়ে দুটি ছনের ঘর ক্রয় করে তার একটিতে বসবাস শুরু করেন। তিনি ১৯৩৪-৩৫ সাল থেকে আদিত্য চন্দ্রের ছেলে মধুদা তার পিতার সঙ্গে খাবারের ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৩৯ সালে পক্ষাঘাতের কারণে পিতার মৃত্যু হলে মধুদা পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে ডাকসু কার্যক্রম শুরু হয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পাশে মধুদার দায়িত্বে ক্যান্টিন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে মধুর ক্যান্টিন পাক বাহিনীর রোষানলে পড়ে। এরই সূত্র ধরে ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন মধুদা, তার স্ত্রী, বড় ছেলে ও তার নববিবাহিত স্ত্রী। মধুদার স্মরণে মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গনেই নির্মিত হয় শহীদ মধুদার স্মৃতি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটির গায়ে লেখা রয়েছে ‘আমাদের প্রিয় মধুদা’ বাক্যটি। এর ভাস্কর হলেন মোঃ তৌফিক হোসেন খান। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল তৎকালীন উপাচার্য এমাজ উদ্দীন আহমেদ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। তবে পরবর্তীতে এটি পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং ২০০১ সালের ১৭ মার্চ পুনঃনির্মিত ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন উপাচার্য এ. কে আজাদ চৌধুরী। শুরুতে এটি মধুর স্টল, মধুর টি-স্টল, মধুর রেস্তোরা ইত্যাদি নামেও পরিচিত ছিল। ১৩৭৯ বঙ্গাব্দের ২০ বৈশাখ ডাকসুর উদ্যোগে এই ক্যান্টিনের নামকরণ করা হয় “মধুর রেস্তোরা”। বর্তমান অবস্থান জনশ্রুতি আছে, মধুর ক্যান্টিন ছিল বাগানবাড়ির নাচঘর। তবে হাকিম হাবিবুর রহমানের মতে, এটি ছিল বাগানবাড়ির দরবার কক্ষ। এখানেই ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম লীগ। আহসানউল্লাহ ঢাকার নবাব ছিলেন ১৮৪৬ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত। ঢাকা শহরে বিস্তৃত তার তিনটি বাগান ছিল। এর মধ্যে একটি শাহবাগে অবস্থিত ছিল। শাহবাগের বাগানবাড়ির নাচঘরটিই বর্তমান মধুর ক্যান্টিন বলে ধারণা করা হয়। অন্য মত অনুযায়ী, সেই বাগানবাড়িতে মার্বেল পাথরের তৈরি একটি গোলাকার বৈঠকখানা ছিল। এই বৈঠকখানাটিই বর্তমানে মধুর ক্যান্টিন নামে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর মধুর ক্যান্টিনকে পুনর্গঠন করা হয়, কান্টিনকে তার মূল স্থান থেকে স্থানান্তরিত করে বর্তমান স্থানে আনা হয়। গ্যালারি তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:ঢাকার রেস্তোরাঁ বিষয়শ্রেণী:বাঙালি রন্ধনশৈলী
মধুর রেস্তোরা
কালিয়াকৈর উপজেলা বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থান গাজীপুর সদর উপজেলার পশ্চিমে ২৪.৪ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.১৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা অংশে কালিয়াকৈর উপজেলা অবস্থিত। এই উপজেলার উত্তরে শ্রীপুর উপজেলা, ও সখিপুর উপজেলা,,পূর্বে গাজীপুর সদর উপজেলা,দক্ষিণে সাভার উপজেলা ধামরাই উপজেলা এবং পশ্চিমে মির্জাপুর উপজেলা অবস্থিত। কালিয়াকৈর থানার পাশে একটি হাইটেক সিটি রয়েছে যার নাম বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি। প্রশাসনিক এলাকা এ উপজেলায় ১ টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়ন রয়েছে; এগুলো হলো: কালিয়াকৈর পৌরসভা; ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন; চাপাইর ইউনিয়ন; বোয়ালী ইউনিয়ন; মৌচাক ইউনিয়ন; শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ; সূত্রাপুর ইউনিয়ন; আটাবহ ইউনিয়ন; মধ্যপাড়া ইউনিয়ন; ঢালজোড়া ইউনিয়ন। শিক্ষা অর্থনীতি ভাষা ও সংষ্কৃতি শ্রীপুর উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। উপজেলা উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলও ঢাকার ভাষার অনেকটা সাযুজ্য রয়েছে। শীতলক্ষা নদীর গতিপ্রকৃতি পাদদেশে শ্রীপুর, মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এই এলাকার ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে শ্রীপুর সভ্যতা বহুপ্রাচীন। এই এলা কায় প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রাচীন সভ্যতার বাহক হিসেবে দেদীপ্যমান। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে শ্রীপুর অবদানও অনস্বীকার্য।  প্রমুখ শিল্প সাহিত্য ভুবনবিখ্যাত সংগীতজ্ঞদের স্মৃতি বিজড়িত শ্রীপুর। কালিয়াকৈর থানার একটি গ্রামের নাম খালপাড়।যা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনেক ভূমিকা রেখেছে। খেলাধুলা ও বিনোদন প্রাচীনকাল থেকেই  কালিয়াকৈর উপজেলা জনেগাষ্ঠী ক্রীড়ামোদী। এখানে প্রতিবছরই বিভিন্ন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার জনপ্রিয় খেলার মধ্যে বর্তমানে ক্রিকেট ও ফুটবলের আধিপত্য দেখা গেলেও অন্যান্য খেলাও পিছিয়ে নেই। কালিয়াকৈরে বেশ কয়েকটি খেলার মাঠ রয়েছে।  প্রতি বছর নিম্নলিখিত ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ঃ (ক) গোল্ডকাপ ফুটবল (খ) প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ (গ) ১ম বিভাগ ফুটবল লীগ (ঘ) বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ । (ঙ) বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলায় গত ২০১২সালে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফুটবল, ক্রিকেট, ভরিবল, ব্যাটমিন্টন, ০২টি সিনেমাহল এবং নন্দনপার্ক দর্শনীয় এবং গুরুত্বপুর্ণ স্থানসমূহ তালিবাবাদ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র । জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আনসার একাডেমী । বলিয়াদী জমিদার বাড়ী। শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী। নন্দন পার্ক । বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ইত্যাদি। এছাড়াও মৌচাক ইউনিয়নের বাঁশতলী গ্রামে সাম্প্রতিককালে ৩০০ বছরের পুরানো একটি সাদা পাকুড় গাছ আবিস্কৃত হয়েছে যা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আর কোথাও দেখা যায় নি। গাছটিকে ঘিরে পর্যটনশিল্প গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। নদ-নদী তুরাগনদী, বংশাই নদী, এখানে একটি তুরাগ নদী আছে যা খালপাড় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। তুরাগ নদীটি শিল্পকারখানার দূষিত পানির কবলে পরে স্বীয় সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। নামকরণ কালিয়াকৈর উপজেলা গাজীপুর জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। ১৯২৩ ইং সনে কালিয়াকৈর থানা গঠন করা হয় এবং পর্যায়ক্রমে নামকরন করা হয়। এই উপজেলার নামকরনের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি।তবে স্থানীয়ভাবে প্রচলিত একটা ধারণা আছে যে, একটা পুকুরে কালিয়া নাগ নামে একটা বড় সাপ  ছিল।কালক্রমে সেই কালিয়ানাগ এর কালিয়া এবং পুকুর এর কৈরা এই দুই শব্দ মিলে কালিয়াকৈর নামকরণ করা হয়েছে। আরও দেখুন গাজীপুর জেলা; ঢাকা বিভাগ; বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:কালিয়াকৈর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:গাজীপুর জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিভাগের উপজেলা
কালিয়াকৈর উপজেলা
thumb|বেইলি'র হার thumb|left|হীড়ার আংটি ইংরেজি, The Baily's beads। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যকে প্রায় আবৃত করে ফেললেও, চাঁদের পৃষ্ঠদেশ বন্ধুর হওয়ায় সূর্যের কিছু কিছু অংশ অনাবৃত থেকে যায়। এই অনাবৃত অংশগুলি থেকে বেরিয়ে আসা আলোর পরম্পরাকে দেখে মোতিহারের মতো মনে হয়। এই ঘটনাটি ১৮৩৬ সালে ফ্রান্সিস বেইলি সবার প্রথমে অবলোকন করেন বলে তার সম্মানার্থে একে বেইলি'র হার নাম দেয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ সূর্য গ্রহণ - বেইলি'র হার সূর্য গ্রহণের সময় কি কি দেখার আছে, চলবে বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞান
বেইলি’র হার
নরসিংদী সদর বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়ালখাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর তীরবর্তি এ জেলা ২৩° ৪৬’ হতে ২৪° ১৪’ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৯০°৩৫’ ও ৯০°৬০’ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলা, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাএবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত। প্রশাসনিক এলাকা মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়ালখাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর তীর বিধৌত প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্যে লালিত জেলাটির নাম নরসিংদী। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবস্থানগত কারণে এ জেলা কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে এক সমৃদ্ধ জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ জেলা ২৩° ৪৬’ হতে ২৪° ১৪’ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৯০°৩৫’ ও ৯০°৬০’ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং পশ্চিমে গাজীপুর জেলা অবস্থিত। নরসিংদী পৌরসভা ইউনিয়ন সমুহ চিনিশপুর ইউনিয়ন হাজীপুর ইউনিয়ন, নরসিংদী সদর শিলমান্দি ইউনিয়ন মেহের পাড়া ইউনিয়ন পাঁচদোনা ইউনিয়ন আমাদিয়া ইউনিয়ন নূরালাপুর ইউনিয়ন কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন, নরসিংদী সদর পাইকারচর ইউনিয়ন মহিষাশুরা ইউনিয়ন করিমপুর ইউনিয়ন, নরসিংদী সদর নজরপুর ইউনিয়ন আলোকবালী ইউনিয়ন চরদিঘলদী ইউনিয়ন ইতিহাস এর রয়েছে এক গৌরবময় প্রাচীন ইতিহাস। সম্প্রতি জেলার বেলাব উপজেলাধীন উয়ারী-বটেশ্বর এলাকায় অসম রাজার গড় নামক স্থানে প্রায় তিন হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া এ জেলার রয়েছে গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ঢাকার বাইরে প্রথম হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে এ জেলার পাঁচদোনা নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা প্রবলভাবে প্রতিরোধ করে এবং শুরু হয় যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আহত হন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর একটি সাজোয়া যান ধ্বংস হয়। হতাহত হয় বেশ কিছু পাকিস্তানি সৈন্য। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ ‌‌আসাদ, মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান, বরেণ্য কবি শামসুর রাহমান, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক ড.আলাউদ্দি আল আজাদ, পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশ চন্দ্র সেন এ জেলারই সন্তান। অর্থনীতি আধুনিক শিল্প ও বাণিজ্যে সমৃদ্ধ বর্তমান নরসিংদী জেলার রয়েছে ক্ষুদ্র তাঁত শিল্পের গৌরবময় অতীত ইতিহাস। প্রায় একশত বছর পূর্বে এ অঞ্চলে ছোট ছোট তাঁত শিল্প গড়ে উঠে। স্বাধীনতা লাভের পর এই তাঁত শিল্প আধুনিকতার ধারায় অগ্রসর হয়ে বর্তমানে (টেক্সটাইল, ডাইং ও প্রিন্টিং, নিটিং) পোষাক শিল্পে অত্যন্ত সমৃদ্ধ জেলা হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প কারখানা যথা: পাটকল, সার কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কাগজ কল, চিনি কল, শুকনা ও তরল খাদ্য দ্রব্যের কারখানা (প্রাণ ফুডস) ইত্যাদিতে এ জেলা বহু পূর্ব হতেই সমৃদ্ধ। পাকিস্তানের গোড়ার দিকে এ অঞ্চলে ০৬ টি পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়। এ জেলায় ০২ টি ইউরিয়া সার কারখানা রয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ এ জেলার ঘোড়াশালে উৎপন্ন হচ্ছে। এ জেলায় উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য স্থানীয় অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ কৃষিপণ্য রাজধানীসহ সারা দেশের চাহিদার অংশ বিশেষ জোগান দিয়ে থাকে। ইতোমধ্যে এ জেলা উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মাধ্যমে কৃষিশিল্প বিকাশের সম্ভাবনাময় অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। ১৯৮৫-৯০ সালে বাংলাদেশে জেলাভিত্তিক শিল্পনগরী উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর গ্রামে প্রায় ১৫ একর ভূমির উপর স্থাপিত হয় বিসিক শিল্পনগরী। এখানে মোট শিল্প কারখানার সংখ্যা ৭০টি। আরও ২০ টি শিল্প কারখানা নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও নরসিংদী জেলার সুপরিচিতি রয়েছে। প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার হিসাবে খ্যাত কাপড়ের প্রাচীন পাইকারী বাজার "বাবুরহাট" নরসিংদী সদরে অবস্থিত। কালের বিবর্তনে বর্তমানে গ্রামের নাম অনুসারে সেকেরচর বাজার নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন ধরনের শাড়ী, থান কাপড়, বেড সীট/বেড কভার, লেপ তোষকের কাপড়, চাদর ইত্যাদি প্রস্তুত, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাইকারী বিক্রয় ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে নরসিংদী জেলা বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব কবি শামসুর রাহমান দর্শনীয় স্থান বালাপুর জমিদার বাড়ি মাধবদী গুপ্তরায় জমিদার বাড়ি আরও দেখুন নরসিংদী জেলা ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:নরসিংদী সদর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:নরসিংদী জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিভাগের উপজেলা
নরসিংদী সদর উপজেলা
খন্দকার মোশতাক আহমেদ (১৯১৮ - মার্চ ৫, ১৯৯৬) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ পর্যন্ত অঘোষিতভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন্ম ও প্রাথমিক জীবন খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯১৮ সালে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির দশপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষা খন্দকার মোশতাক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৪২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব। রাজনীতি খন্দকার মোশতাক ১৯৪২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি আহমেদ যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫৩ সালের আর্টিকেল ৯২-এ ব্যবহার করে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দিলে ১৯৫৪ সালে তাকে কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫৫ সালে তিনি মুক্ত হয়ে আবার সংসদে যুক্তফ্রন্টের চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি করার পর তিনি আবার বন্দি হন। ১৯৬৬ সালে ছয়-দফার সমর্থন করায় তাকে আবার কারাবরণ করতে হয়। দেশের আটটি রাজনৈতিক দল ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করলে তাতে খন্দকার মোশতাক আহমেদ পশ্চিম পাকিস্তান অংশের সমন্বয়ক ছিলেন। ১৯৬৯ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে আইয়ুব খানের ডাকা গোল টেবিল বৈঠকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারে তিনি পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারে তিনি বিদ্যুৎ, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তাকে বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বাকশালের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। ৭৫' এ অবস্থান কিছু সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হবার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের জাতির সূর্যসন্তান বলে আখ্যা দেন। এই পদে তিনি মাত্র ৮৩ দিন ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর তিনি ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেন। তিনি "জয় বাংলা" স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" স্লোগান চালু করেন। এই সময় তিনি "বাংলাদেশ বেতার" এই নাম পরিবর্তন করে রেডিও পাকিস্তানের আদলে "রেডিও বাংলাদেশ" করেন। তার শাসনামলে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মোঃ মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (৩ নভেম্বর) হত্যা করা হয়। মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহের দ্বারা অপসারিত হন।এসব কারণে তিনি জাতীয় বেইমান হিসেবে সর্বজন নিন্দিত। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার পিছনে তিনিও জড়িত ছিলেন। ৭৫' পরবর্তী অবস্থান ১৯৭৬ সালে মোশতাক আহমেদ ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামক এক নতুন দল প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর সামরিক শাসককে অপসারণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২ টি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় এবং আদালত তাকে ৫ বছরের শাস্তি প্রদান করে। জেল থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি আবার সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। মৃত্যু ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯১৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:কুমিল্লা জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তিবর্গ
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
শ্যামনগর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি শহর। এটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র। শহরটি রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত। ইতিহাস মূলাজোড়, অধুনা শ্যামনগর শহরটি হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এখানে কবি ভারতচন্দ্র রায়গুনাকরকে জমি প্রদান করেছিলেন। এখানে গোপীমোহন ঠাকুর ব্রহ্মমময়ী কালিমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মূলাজোড় কালীবাড়ি বা শ্যামনগর কালীমন্দির একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই মন্দির গঙ্গা নদীর তীরে স্থাপিত। শীতকালে প্রতি বৎসর পৌষ মাসে একমাস ধরে মন্দিরে কালী মায়ের বিশেষ পুজো আরাধনা চলে। দূর দূর থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মানুষ ভোর বেলা থেকে দীর্ঘ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এক জোড়া মুলো, ফুল, বেলপাতা, প্রসাদ মাটির তৈরী ডালায় সাজিয়ে মায়ের পুজো দেন। তাই এই বিশেষ পুজোর নাম 'মূলা ডালি'। ভূগোল শ্যামনগর গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে উচ্চতায় অক্ষ-দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। শহরটি হুগলি নদীর তীর বরাবর উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত। এই শহরের অধিকাংশ অঞ্চলে আগে জলাভূমি ছিল। পরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জলাভূমি বুজিয়ে এই শহরটি গড়ে ওঠে। অবশিষ্ট জলাভূমি এখন পূর্ব কলকাতা জলাভূমি নামে পরিচিত। এটি আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন রামসর সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত। গাঙ্গেয় সমভূমির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই শহরের মাটি পাললিক প্রকৃতির। শহরের তলদেশে মাটি, পলি, বিভিন্ন ধরনের বালি ও কাঁকড় রয়েছে। মাটির দুটি স্তরের মধ্যে এই উপাদানগুলি বদ্ধ হয়ে আছে। নিচের স্তরটির গভীরতা থেকে এবং উপরের স্তরটির গভীরতা থেকে । ভারতীয় মানক ব্যুরোর মতে এই শহরটি সিসমিক ক্ষেত্র-তিনের অন্তর্গত; যার মাত্রা এক থেকে পাঁচ (অর্থাৎ, এটি ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চল)। অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই শহরটি ঘূর্ণিঝড়-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শহর বিষয়শ্রেণী:কলকাতা মহানগর অঞ্চল বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের শহর
শ্যামনগর
পুনর্নির্দেশ ২১ সেপ্টেম্বর
২১শে সেপ্টেম্বর
স্বর্নলতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। কোন পাতা নেই, লতাই এর দেহ কাণ্ড মূল সব। লতা হতেই বংশ বিস্তার করে। সোনালী রং এর চিকন লতার মত বলে এইরূপ নামকরণ। ঔষধি গুন আছে। অনেক ক্ষেত্রে আশ্রয় দাতা গাছের মৃত্যু ঘটিয়ে থাকে। প্রাপ্তিস্থান বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, পাওয়া যায়। ব্যবহার উদ্ভিদের পুরো অংশই বিষাক্ত। এটি প্রজনন ক্ষমতারোধি, বমন সৃজক, গর্ভপাতক। হলদে-সোনালি রঙের পরজীবী উদ্ভিদ স্বর্ণলতা। গ্রামগঞ্জে এটি শূন্যলতা বা অলোকলতা নামেও পরিচিত। এই লতা নরম, সরু ও মূল-পাতাবিহীন। ছোট ও মাঝারি উচ্চতার গাছে জড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এ লতা। এই লতার হস্টেরিয়া নামক চোষক অঙ্গ থাকে। চোষক অঙ্গের মাধ্যমে এটি পোষক উদ্ভিদ থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। এটি একবর্ষজীবী লতা। আমাদের দেশে কয়েকটি প্রজাতি আছে। এ লতা অনেক শাখা লতা তৈরি করে পুরো গাছ জড়িয়ে ফেলে খুব কম সময়ে। ফুল থেকে ফল হয়। বীজ থেকে বংশবৃদ্ধি ঘটে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকার আদিবাসীদের কাছে লতাটি লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। স্বর্ণলতার রয়েছে নানা ওষধি। এটি বায়ুনাশক ও পেটব্যথায় কার্যকর। জন্মনিরোধ ও কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। স্বর্ণলতার নির্যাস পেটফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যে দারুণ উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় স্বর্ণলতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসায় একে রক্তদুষ্টিনাশক, পিত্ত ও কফনাশক, বিরেচক, বায়ুনাশক, কৃমিনাশক, খোসপাঁচড়া নিবারণকারী হিসাবে দেখা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হাড়ের চিকিৎসা, জন্ডিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, যকৃতের রোগ, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার ইত্যাদি কঠিন রোগ নিরাময়ে স্বর্ণলতার ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়। বর্তমান গবেষণায় এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে এটি অন্যতম বলে বিবেচিত হয়েছে। চলুন জেনে নিই স্বর্ণলতার কিছু ওষধি গুণ- অরুচি ভাব দূর হয় কারও মুখে অরুচি দেখা দিলে বা খেতে ইচ্ছা না করলে স্বর্ণলতা সিদ্ধ করে সেই পানি সেবন করলে অরুচি ভাব কেটে যায়। মুখের ঘা সারাতে মুখে ঘা হলে স্বর্ণলতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচো করলে ঘা দ্রুত ভালো হয়। বায়ুনাশে সমস্যা হলে পেটের বায়ুনাশে সমস্যা দেখা দিলে স্বর্ণলতার বীজ চূর্ণ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কৃমি ভালো হয় স্বর্ণলতা গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে সেই বীজ চূর্ণ করে খেলে কৃমি ভালো হয়। ক্ষত দ্রুত ভালো হয় ক্ষতে স্থানে স্বর্ণলতা পিষে প্রলেপ দিলে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়। জন্ডিস ভালো হয় প্রথমে স্বর্ণলতা সংগ্রহ করে থেঁতো করতে হবে। এবার থেঁতো করে সেবন করলে জন্ডিস রোগ ভালো হয়। বিষয়শ্রেণী:পরগাছা বিষয়শ্রেণী:ঔষধি উদ্ভিদ
স্বর্ণলতা
পুনর্নির্দেশ ২ মে
২রা মে
ফ্যাক্স, যা কি-না ইংরেজি ফ্যাকসিমিলি (Facsimile) শব্দের সংক্ষেপ, একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র যা কোন কাগজ বা দলিলের ছবি ডিজিটাল পদ্ধতির টেলিফোন তারের সহায়তায় দূরমুদ্রণে সক্ষম। টেলিফোনে যেমন শব্দ প্রেরণ করা হয়, ফ্যাক্স-এর মাধ্যমে তেমনি ইলেকট্রণিক ছবি প্রেরণ করা হয়। কার্যত: ফ্যাক্স মেশিন ছবি বা দলিলের ইলেক্ট্রণিক প্রতিচিত্র তৈরী, প্রেরণ, গ্রহণ ও মুদ্রণে সক্ষম একটি যন্ত্র। কোন কাগজে লিখিত তথ্য অবিকৃত অবস্থায় দ্রুততম সময়ে দুর দুরান্তে পাঠানোর পদ্ধতি। টেলিফোন লাইন এ ফ্যাক্স যন্ত্র বসানোর মাধ্যমে এটি ব্যবহার হয়। টেলিফোন লাইনই এর তথ্য পরিবাহক। এটি টেলেক্স এর উত্তরকালে উদ্ভাবিত একটু বিশেষ উপযোগী যন্ত্র। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে টেলেক্স ও টেলিগ্রাম ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। পরিবর্তে ফ্যাক্স-এর ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ইমেইল এ এটাচমেণ্ট হিসাবে দলিলের প্রতিলিপি প্রেরণ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠলে একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ফ্যাক্স-এর ব্যবহার ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে। আবিষ্কার ১৮৪২ সালে স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার বেইন ফ্যাক্স আবিষ্কার করেন। ১৮৫০ সালে ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানী ফেডরিক ব্ল্যাকওয়েল এবং ১৯০৭ সালে জার্মান বিজ্ঞানী আর্থার কর্ন (Korn) এর উন্নত রূপ দান করেন। লিখিত বক্তব্য প্রেরক যন্ত্রে স্থাপন করলে তা ফ্যাক্সের ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রতিচ্ছবিতে পরিণত হয় এবং মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানো হয়। গ্রাহকযন্ত্র এ বক্তব্য পূর্ববত করে প্রিন্টারের সাহায্যে অবিকলভাবে প্রকাশ করে। মাইক্রোওয়েভ ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এ সংবাদ আদান-প্রদান করা হয়। তথ্যসূত্র
ফ্যাক্স