text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
গ্লাসগো সাবওয়ে স্কটোল্যান্ডের গ্লাসগো শহরকে সেবা প্রদানকারী পাতাল ট্রেন ব্যবস্থা। লন্ডন ও বুদাপেশ্‌ৎ মেট্রোর পর এটি বিশ্বের ৩য় প্রাচীনতম মেট্রোব্যবস্থা। এটিতে ১টি লাইনে ১৫টি বিরতিস্থল আছে। দৈনিক প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী ব্যবস্থাটি ব্যবহার করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:যুক্তরাজ্যের দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
গ্লাসগো সাবওয়ে
জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে জীব ও জীবন সংক্রান্ত গবেষণা করা হয়। তাদের গঠন, বৃদ্ধি, বিবর্তন, শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যার আলোচনাও এর অন্তর্ভুক্ত। আধুনিক জীববিজ্ঞান খুব বিস্তৃত একটি ক্ষেত্র, যেটির অনেক শাখা-উপশাখা আছে। আধুনিক জীববিজ্ঞান বলে, কোষ হচ্ছে জীবনের মূল একক, আর জিন হলো বংশগতিবিদ্যার মূল একক। আর বিবর্তন হলো একমাত্র প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে নতুন প্রজাতির জীব সৃষ্টি হয়। কীসের উপর গবেষণা করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী জীববিজ্ঞানের শাখাগুলোকে ভাগ করা হয়েছে; যেমন: জীবনের রসায়ন নিয়ে যে বিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়, তাই হলো প্রাণরসায়ন বা জীবরসায়ন। উদ্ভিদবিজ্ঞান বা উদ্ভিদ-জীববিদ্যা হচ্ছে জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যা জীবন্ত উদ্ভিদের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষণ সংক্রান্ত কাজ করে থাকে। আণবিক জীববিজ্ঞান শাখায় সমস্ত জীবিত বস্তুর প্রধানতম অণুসমূহ যথা নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিনের গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যে বিজ্ঞানে কোষ, কোষের আকার, প্রকৃতি, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন, কোষবিভাজন ও শারীরবৃত্তীয় কাজ ইত্যাদি আলোচনা করা হ,য় তাকে কোষবিদ্যা বলে।। শারীরবিদ্যা শাখায় প্রাণিদেহের পুষ্টি, শ্বসন, ক্ষরণ, রেচন, জনন প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি আলোচনা করা হয়। বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞান একটি উপশাখা যেখানে প্রজাতির উৎপত্তি ও ক্রমবিবর্তন নিয়ে গবেষণা করা হয়। আর যেখানে জীবিত অর্গানিজমের বিস্তৃতি, বিন্যাস ও প্রাচুর্য এবং এসব অর্গানিজমের মধ্যে আন্তঃক্রিয়া ও পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের সাথে এদের অন্তঃক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে পরিবেশবিজ্ঞান বলে। ইতিহাস জীববিজ্ঞান এর পাশ্চাত্য প্রতিশব্দ Biology, যেটি দুটি গ্রিক শব্দ βίος(bios) যার অর্থ জীবন , এবং λογία(logia) যার অর্থ জ্ঞান থেকে এসেছে, প্রথম ১৮০০ সালে জার্মানিতে ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে ফরাসি প্রকৃতিবিদ জঁ-বাতিস্ত দ্য লামার্ক জীবিত বস্তু সংক্রান্ত অনেকগুলি শাস্ত্রের ধারক নাম হিসেবে এটির প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ইংরেজ প্রাণীবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ টমাস হেনরি হাক্সলি জীববিজ্ঞানকে একটি একত্রীকারক শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। হাক্সলি জোর দিয়ে বলেন যে উদ্ভিদ ও প্রাণী বিষয়ক শাস্ত্রের প্রথাগত বিভাজন অর্থহীন এবং সমস্ত জীবিত বস্তু একত্রে আলোচনা করা উচিত। হাক্সলির এই ধারণা আজ আরও বেশি করে প্রযোজ্য, কেননা বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন যে অনেক নিম্ন স্তরের জীব প্রাণী বা উদ্ভিদ কোনটাই নয়। বর্তমানে জীববিজ্ঞান আণবিক, কোষীয়, জীবদেহ ও জীবসংগ্রহ - এই চারটি মূল স্তরক্রমে বিভক্ত।জীববিজ্ঞান প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং চিকিত্সা থেকে তার নিজস্ব একটি শৃঙ্খলার মাধ্যমে ১৯ শতকের মধ্যভাগে বিকশিত হয়েছিল। রসায়ন এবং পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি এটি এখন বিদ্যালয়ে সাধারণত বিজ্ঞানের উপর পাঠদান করা হয় তার মধ্যে একটি। আণবিক জীববিজ্ঞান আণবিক জীববিজ্ঞান, যাতে জীবপদার্থবিজ্ঞান ও জীবরসায়ন অন্তর্গত শাখা থেকে আধুনিক জীববিজ্ঞানের সবচেয়ে মৌলিক অবদানগুলি এসেছে। সমস্ত জীবিত বস্তুর প্রধানতম অণুসমূহ যথা নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিন-এর গঠন ও কাজ সম্পর্কে এখন আমরা অনেক কিছু জানি। বংশগতির কৌশল নির্ধারণ ছিল আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল কীভাবে জীবদেহের অণুগুলি বিপাক ক্রিয়া সম্পাদন করে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রক্রিয়া করে। কোষ জীববিজ্ঞান কোষ জীববিজ্ঞান বা কোষবিদ্যা আণবিক জীববিজ্ঞানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। জীবিত বস্তুর কাঠামোগত একক কোষের কার্যপদ্ধতি বোঝার জন্য কোষ জীববিজ্ঞানীরা আণবিক পর্যায়ে কোষের বিভিন্ন অংশের গবেষণা করেন। জীবদেহ-সংক্রান্ত জীববিজ্ঞান, একইভাবে, কোষ জীববিজ্ঞানের সাথে জড়িত, কারণ একটি বহুকোষীয় জীব কীভাবে আচরণ করবে তা নির্ভর করে তার কোষগুলির কার্যাবলী ও এদের মধ্যকার মিথষ্ক্রিয়ার উপর। বহুকোষীয় জীবদেহের গবেষণার মধ্যে রয়েছে এগুলির বৃদ্ধি ও বিকাশ (বিকাশ জীববিজ্ঞান), এবং এগুলি কীভাবে কাজ করে (শারীরবিদ্যা)। এছাড়াও মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্র সংক্রান্ত গবেষণা (স্নায়ুশারীরবিদ্যা) এবং প্রাণী আচরণ (ethology) গুরুত্বপূর্ণ। জীবসমষ্টি জীববিজ্ঞান জীবসমষ্টি জীববিজ্ঞান ১৯৭০-এর দশকে এসে জীববিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রধান শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শাখার কেন্দ্রীয় শাস্ত্র হল বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞান, যাতে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের অবদান বহুদিন পরে যথাযথ মর্যাদা পায়। জীবসমষ্টি বংশগতিবিদ্যা (Population genetics), যেখানে জীবসমষ্টিগুলির ভেতরে জীনের পরিবর্তন গবেষণা করা হয়, এবং বাস্তুবিজ্ঞান, যেখানে প্রাকৃতিক আবাসস্থলে জীবসমষ্টির আচরণ গবেষণা করা হয়, ১৯৩০-এর দশক থেকে শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এই দুইটি শাস্ত্র ১৯৬০-এর দশকে জীবসমষ্টি জীববিজ্ঞান নামের এক দ্রুত বর্ধনশীল নতুন শাস্ত্র গঠন করে। এদের সাথে সম্পর্কিত একটি নতুন প্রাণী-আচরণ বিষয়ক শাস্ত্র হচ্ছে সমাজজীববিজ্ঞান, যাখানে প্রাণীদের মধ্যকার সামাজিক মেলামেশা এদের জীনের উপর কতটা প্রভাব ফেলে তার উপর গবেষণা করা হয়। জীবপ্রযুক্তি জীববিজ্ঞানের একটি আধুনিক ও প্রয়োগমুখী শাখা। জীববিজ্ঞানে মানুষের উপরও আণবিক, কোষীয় ও দৈহিক পর্যায়ে গবেষণা করা হয়। এই জ্ঞান মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও সুরক্ষার কাজে চিকিৎসাশাস্ত্রে কাজে লাগানো হয়। রীতি অনুযায়ী মানুষদেরকে সাধারণত জীববিজ্ঞানের আওতায় ধরা হয় না। নৃবিজ্ঞান ও অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানে মানুষের বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়। জীববিজ্ঞান ও দর্শন দার্শনিক তত্ত্ব যেমন বহুকাল দর্শনের পরিধির মধ্যে রেখে জীববিজ্ঞানকে প্রভাবিত করেছে, অপরদিকে জীববিজ্ঞানের আধুনিক বিকাশ দর্শনকেও প্রভূত পরিমাপে প্রভাবান্বিত করেছে। বর্তমান জীবন সম্পর্কে দার্শনিক আলোচনা জীববিজ্ঞানের সিদ্ধান্তের স্বীকৃতির ভিত্তিতেই করা হয়। এছাড়া জীববিজ্ঞানের বিকাশ দর্শনের জন্য আলোচনার নতুনতর সমস্যাও সৃষ্টি করেছে। এ সমস্ত সমস্যার মধ্যে জীবদেহের সামগ্রিকতার সংগে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহারগত সম্পর্কের সমস্যাটি অন্যতম। জীববিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে, একটি জীবনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে যে একটি পূর্ণ সত্তা তৈরি করে, সেই সত্তার বাইরে এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অনুরূপ ব্যবহার সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। ইংরেজিতে এই সমস্যাকে Wholism-এর সমস্যা বলে আখ্যায়িত করা হয়। তথ্যসুত্র আরও দেখুন বহিঃসংযোগ http://www.dmoz.org/Science/Biology http://www.biology-online.org/dictionary/Main_Page http://ocw.mit.edu/courses/biology/7-012-introduction-to-biology-fall-2004/ http://tolweb.org/tree/phylogeny.html https://web.archive.org/web/20131029200057/http://logic-law.com/index.php?title=The_Study_of_Biology https://ganipediya.xyz/wp/ চিত্রশালা বিষয়শ্রেণী:জীববিজ্ঞান
জীববিজ্ঞান
ট্র্যাক্স (TRAX বা Transit Express) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের একটি দুই-লাইনবিশিষ্ট লাইট রেল ব্যবস্থা যা সল্ট লেক সিটি, সাউথ সল্ট লেক, মারি, মিডভেল ও স্যান্ডি শহরগুলিকে সেবা প্রদান করছে। ইউটাহ ট্রানজিট অথরিটি ব্যবস্থাটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
ইউটিএ ট্র্যাক্স
লিমা মেট্রো () দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর রাজধানী লিমা শহরের বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। বর্তমানে এটিতে একটি দীর্ঘ লাইন ও ২৬টি স্টেশন আছে। প্রতিদিন ৩ লক্ষেরও বেশি যাত্রী এটি ব্যবহার করেন। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:পেরুর দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
লিমা মেট্রো
২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক (), অফিসিয়ালি ৩১তম অলিম্পিয়াডের গেমস এবং সাধারণভাবে রিও ২০১৬ নামে পরিচিত একটি আন্তর্জাতিক বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যা ব্রাজিলের রিও দি জেনেরিও শহরে ৫ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় ৷ প্রতিযোগিতায় কসোভো ও দক্ষিণ সুদানসহ ২০৬ টি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি (এনওসি) থেকে ১০,৫০০ জনেরও বেশি ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্তৃক ২০০৯ সালে সংযুক্ত করা ক্রীড়া রাগবি সেভেন্‌স ও গলফ সহ ২৮টি অলিম্পিক ক্রীড়ায় ৩০৬টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় ৷ ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসমূহ আয়োজনের জন্য আয়োজক শহর রিও দি জেনেরিওর ৩৩টি ভেন্যু এবং অতিরিক্ত হিসাবে ব্রাজিলে সর্ব বৃহৎ শহর সাও পাওলো, রাজধানী শহর ব্রাসিলিয়া, মানাউশ ও সালভাদোর শহর থেকে ৫টি ভেন্যু নির্বাচন করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ২ অক্টোবর ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত ১২১তম আইওসি সেশনের মিটিংয়ে রিও দি জেনেরিওকে আয়োজক শহর হিসাবে ঘোষণা করা হয়। চুড়ান্ত পর্বের অন্যান্য শহরসমূহ হল মাদ্রিদ, স্পেন; শিকাগো, যুক্তরাষ্ট্র; টোকিও, জাপান। রিও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের প্রথম অলিম্পিক প্রতিযোগিতার আয়োজক শহর এবং ল্যাটিন আমেরিকার দ্বিতীয়। এর আগে ১৯৬৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ল্যাটিন আমেরিকার মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নিলাম নিষ্পত্তি ক্রীড়াসমূহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট মারাকানা স্টেডিয়ামে ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আসরের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া ২০১৬ গ্রীষ্মকালিন অলিম্পিক ২৮ টি ক্রীড়ার ৪১ টি বিভাগে ৩০৬ টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। নতুন ক্রীড়া সেখানে ক্রীড়ার জন্য দুটি খোলা স্পট ছিল এবং ২০১৬ কর্মসূচিতে প্রাথমিকভাবে সাত ক্রীড়া অন্তভূক্তির জন্য নিলাম ডাকা হয়েছিল। বেসবল ও সফটবল, যেগুলো ২০০৫ কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, কারাতে, স্কোয়াশ, গল্‌ফ, রোলার স্পোর্ট এবং রাগবি ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্তের আবেদন করা হয়। ২০০৯ সালের জুনে আইওসি নির্বাহী বোর্ডের সামনে সাত ক্রীড়া নেতৃবৃন্দ তাদের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেছিল। আগস্টে আইওসি কার্যকরি বোর্ড প্রাথমিকভাবে রাগবি সেভেন্‌সকে (রাগবি ইউনিয়নের সাত সদস্যের খেলা) সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে গ্রহণ করে। বেসবল, রোলার স্পোর্ট, স্কোয়াশ ভোটভুটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। অপর তিনটি ক্রীড়া গল্‌ফ, কারাতে ও সফটবল; বোর্ড গল্‌ফ আলোচনার জন্য গ্রহণ করে। ২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর ২১তম আইওসি সেশনের শেষ দিনে বাকি দুটি ক্রীড়ার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সেশনে ক্রীড়া নির্বাচনের একটি নতুন নিয়ম ছিল: একটি ক্রীড়া গ্রহণ করতে সাধারণভাবে সম্পূর্ণ আইওসি কমিটির সমর্থন দরকার হবে যা পূর্বে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনের প্রয়োজন হত। আন্তর্জাতিক গল্‌ফ ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক এ্যান্টনি স্কানলন বলেন যে, দুজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় টাইগার উডস এবং অনিকা সোরেন্সটাম এ ইভেন্টে থেকে অলিম্পিকে গল্‌ফ সংযুক্ত করার জন্য প্রথম থেকে সমর্থন করে আসছিলেন। আন্তর্জাতিক সেইলিং ফেডারেশন মে ২০১২ সালে ঘোষণা করে যে, ২০১৬ অলিম্পিকে কাইটসার্ফিং উইন্ডসার্ফিং দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে, কিন্তু নভেম্বরে এ সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়া হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে আইওসি ঘোষণা করে যে, সাইক্লিং ইভেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা হবে, ল্যান্স এ্যাম্ট্রং এর ভর্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকারী মাদক গ্রহণ সাইক্লিং গভর্ণিং বডি পর্যন্ত আলোচিত হয়েছিল। ২০১২ অলিম্পিকের পর, আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন ঘোষণা করে যে, পরবর্তি অলিম্পিকে জিমন্যাস্টিক্স একটি গালা ইভেন্ট হয়ে থাকবে। অংশগ্রহণকারী জাতীয় অলিম্পিক কমিটিসমূহ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত, ২০৬ টি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি থেকে ১৫৪ টি এনওসি থেকে অত্যন্ত ১ জন্য ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই সাথে একজন স্বতন্ত্র অলিম্পিয়ান খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। স্বাগতিক দেশ হিসাবে ব্রাজিল সব সাইক্লিং ডিসিপ্লিন ৬ টি ভারোত্তোলনে ইভেন্ট সহ কিছু ক্রীড়ায় বাছাই বাদে বাধাহীনভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। সর্বাধিক ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হয়েছে জার্মানি, গ্রেট ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ড এই তিনটি দেশের যাদের প্রত্যেকের চারজন করে ক্রীড়াবিদ ২০১৪ এফইআই ইকুয়েট্রিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক বিজয়ী। দক্ষিণ সুদান ও কসোভো এবারে অলিম্পিকে প্রথম খেলায় সুযোগ পেয়েছে। কুয়েত ২০১৫ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয়বারের মত পুনরায় ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয় তাদের জাতীয় অলিম্পিক কমিটিতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের জন্য। রাশিয়া নভেম্বর ২০১৫ এর পূর্ব থেকেই আন্তর্জাতিক এন্টি-ডোপিং এজেন্সি এর রিপোর্ট অনুসারে আইএএএফ কর্তৃক ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক সহ সকল আন্তর্জাতিক অ্যালেটিক (ট্র্যাক এবং ফিল্ড) প্রতিযোগিতায় বহিষ্কৃত ছিল। ইউরোপে অভিবাসী সঙ্কট এবং অন্যান্য কারণে অলিম্পিক কমিটি অভিবাসী অলিম্পিয়ানদের অলিম্পিক পতাকার অধিনে স্বতন্ত্র অলিম্পিয়ান হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছে। এর পূর্বের অলিম্পিক গেমসসমূহে শরণার্থীদের তাদের জাতীয় অলিম্পিক কমিটির প্রতিনিধিত্ব না থাকার কারণে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না। ২ মার্চ ২০১৬ তারিখে আইওসি শরণার্থী অলিম্পিক অ্যাথলেট (আরওএ) দল তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে ৪৩ শরণার্থী ক্রীড়াবিদ সম্ভাব্য যোগ্য এবং ১০ চুড়ান্তভাবে দলের জন্য নির্বাচিত হন। ক্রীড়াপঞ্জি </div> ইভেন্ট সময় সমাপনী অনুষ্ঠান লোগো অফিসিয়াল মাসকট আরও দেখুন ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস বিষয়শ্রেণী:২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক বিষয়শ্রেণী:২০১৬-এ বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিষয়শ্রেণী:২০১৬-এ ব্রাজিলীয় ক্রীড়া বিষয়শ্রেণী:স্বাগতিক ব্রাজিলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক
বার্গার কিং একটি মার্কিন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও সারা বিশ্বে এর ৬১টি দেশে এর ১২ হাজারেরও বেশি শাখা রয়েছে। এগুলো এর মধ্যে ৬৬% মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি ৯০% বেসরকারি ভাবে পরিচালিত হয়। বার্গার কিং শুরু হয় ১৯৫৩ সালে। ১৯৭০ সাল ছিল এটির সোনার সময়, কিন্তু ১৯৮০ তে বিজ্ঞাপন এর কমতি এর কারণে এটি পিছিয়ে পরে। এটি বার্গার, ফ্রাই, সোডা ও মিল্কসেক বিক্রি করে থাকে। এছাড়া এর মেনুতে আরো কিছু জিনিসও ক্রেতাদের জন্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকডোনাল্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে উঠছে না যুক্তরাজ্যের বার্গার কিং। শুরুতে বিশ্বের ১২ হাজার ৭৮টি চেইনশপ জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে বার্গার কিংয়ের বিক্রি বিশ্বব্যাপী দুই শতাংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকায় তিন দশমিক তিন শতাংশ পড়ে গেছে। বাম|থাম্ব|240x240পিক্সেল|বার্গার কিং লোগো সংখ্যায়িত তালিকা আইটেম বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
বার্গার কিং
পুনর্নির্দেশ ওপরা উইনফ্রি
অপ্‌রাহ উইনফ্রে
ব্রাহ্মণপাড়া বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৩°৬১' এবং ৯১°১১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। এ উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বে ও দক্ষিণে বুড়িচং উপজেলা, পশ্চিমে দেবিদ্বার উপজেলা ও মুরাদনগর উপজেলা, উত্তরে ও উত্তর-পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত। ব্রাহ্মণপাড়ার সাথে ভারতের দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার সীমান্ত। প্রশাসনিক এলাকা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় বর্তমানে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্রাহ্মণপাড়া থানার আওতাধীন। ইউনিয়নসমূহ: ১নং মাধবপুর ২নং শিদলাই ৩নং চান্দলা ৪নং শশীদল ৫নং দুলালপুর ৬নং ব্রাহ্মণপাড়া সদর ৭নং সাহেবাবাদ ৮নং মালাপাড়া ইতিহাস ব্রাহ্মণপাড়া একটি প্রাচীন জনপদ। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ব্রিটিশ আমলে তা কসবা থানার অন্তভূক্ত ছিল। ১৯৫৪ সালে তা বুড়িচং থানার অন্তভূক্ত হয়। ১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণপাড়া ফাঁড়ি থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৬ সালে বুড়িচং হতে আলাদা হয়ে প্রশাসনিক থানায় রূপ লাভ করে। ১৯৮৩ সালের ৭ নভেম্বর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলশ্রুতিতে উন্নয়নের প্রয়োজনে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় উন্নীত হয়। জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি হতে দড়িয়ার পাড় হয়ে ষাইটশালা পযর্ন্ত যে নিচু ভূমি বর্তমানে পরিলক্ষিতহয় তা জুড়ে মোঘল আমলে (সম্ভবত বাদশাহ শাহ আলমের শাসনামলে ১৭৫৯ সাল) কালিদাহ সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলে ঘুংঘুর নদীর পূর্ব তীরে ইংরেজ কোম্পানীল বেনিয়ারা সতের শতকের গোড়ার দিকে বর্তমান উপজেলার এক কিলোমিটার দক্ষিণে বলদা (সাহেবাবাদ) মৌজার এক উচু স্থানে ব্যবসায়িক কুঠি স্থাপন করে। কোম্পানীর হিসাব রক্ষণের জন্য বারা নসী কাশি মুন্সি নামক একজন কান্যকুট ব্রাহ্মণ হিসাব রক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে। ব্রাহ্মণ মহাশয়ের বসতি স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই কোম্পানীর খাতায় এ স্থানের নাম ব্রাহ্মণপাড়া হিসেবে লিপিবদ্ধ নাম হয়। সেই থেকে এ উপজেলার নাম ব্রাহ্মণপাড়া হয়েছে। জনসংখ্যা শিক্ষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০ সালে) প্রতিষ্ঠা নাগাইশ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ। ব্রাহ্মণপাড়া ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৪৫ সালে) সাহেবাবাদ ডিগ্রি মাদ্রাসা (১৯১৯) সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়, বালিনা আলীম মাদ্রাসা দুলালপুর এসএম এন্ড উচ্চ বিদ্যালয় মহালক্ষীপাড়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসা, মহালক্ষীপাড়া শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শশীদল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। চান্দলা কেবি উচ্চ বিদ্যালয়, মালাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়, টাকই উচ্চ বিদ্যালয়, বড়ভাঙাইন্না (টাকই) ফৌজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, * বড়ধুশিয়া আদর্শ কলেজ শশীদল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের কলেজ ব্রাহ্মণপাড়া মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শিদলাই নাজনীন হাইস্কুল, ষাইটশালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রফেসার সেকান্দর আলী বালিকা বিদ্যালয়(১৯৮৯ সালে) শিদলাই আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়, শিদলাই আমির হোসেন যোবেদা ডিগ্রি কলেজ। গোপালনগর আদর্শ কলেজ,, গোপালনগর বি এ বি উচ্চ বিদ্যালয়। বেজুরা শেখ মজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘভুমি বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়। বেড়াখলা আব্দুল মতিন খসরু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। পোমকাড়া ছিদ্দিকুর রহমান এন্ড হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়। অর্থনৈতি কৃতি ব্যক্তিত্ব মেজর (অব:) আবদুল গনি - ইস্ট বেঈল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা; আলী নেওয়াজ প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান,বাংলা বিভাগ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক শব্দর আলী, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান,ইংরেজি বিভাগ,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজিজুল হক সরকার (রাজনীতিবিদ) সাবেক কৃষি মন্ত্রী; ব্যারিস্টার সফিক আহমেদ - আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী; এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু - সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী;আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডঃ সিরাজুল ইসলাম, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ইউসুফ ভুইয়া, প্রাক্তন মুখ্য সচিব। এ্যাডভোকেট আমির হোসেন - সাবেক এমপি; বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম মহাপরিচালক আইজিপি আবদুল খালেক আবদুর রউফ, প্রাক্তন আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ। আঃ আজিজ, বীর প্রতীক,প্রাক্তন মহাসচিব কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, আশরাফ হোসেন,জাতীয় সংসদের হুইফ মজিবুর রহমান মজু, সাবেক এমপি। মতিউল ইসলাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী জেলা। মোঃ এনামুল হক, জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহ জেলা। আবদুল বারেক, বীর বিক্রম। ভাষা ও সংষ্কৃতি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগোলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ওসংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য উপজেলাসমূহ। এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন কথ্য ভাষায় মহাপ্রাণধ্বনি অনেকাংশে অনুপস্থিত, অর্থাৎ ভাষা সহজীকরণের প্রবণতা রয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আঞ্চলিক ভাষার সাথে সন্নিহিত ঢাকা অঞ্চলের ভাষার, চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম উাজেলার আঞ্চলিক ভাষায় নোয়াখালী এলাকার ভাষার অনেকটাই সামজ্ঞ্জস্য রয়েছে। মেঘনা-গোমতী নদীর গতি প্রকৃতি এবং লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যেসব সরকারি সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ব্রাহ্মণপাড়ায় কাজ করছে সেগুলো হলোঃ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী, ব্রাহ্মণপাড়া সরকারী গণ গ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণপাড়া প্রভৃতি। খেলাধুলা ও বিনোদন উপজেলা পর্যায়ে ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজ খেলার মাঠ । মাঠটি উপজেলা পরিষদের সন্নিকটে বাসষ্ট্যান্ড-এর পাশে অবস্থিত। প্রাতি বছর এ মাঠে নিম্নলিখিত ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ১. বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রা: বিদ্যা: ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২. আন্ত: ক্রীড়া প্রা: বিদ্যা: ফুটবল প্রতিযোগিতা ৩. শীতকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ৪. গ্রীস্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দর্শনীয় স্থান কুমিল্লা জেলার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দরিয়ারপাড় ঈদগাহ ময়দান একসাথে অর্ধলক্ষ মানুষ নামাজ পড়তে পারে। উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার।খুব মনোরম পরিবেশ। চান্দলা শিব মন্দির, হিন্দুদের তীর্থস্থান। সালদানদী রেলস্টেশন সাথে ভারতের সিমান্ত পাহারগেসা মনোরম পরিবেশ। গোমতী নদী আইল। প্রাকৃতিক পরিবেশ। উত্তর তেতাভূমি জমিদার বাড়ি জনপ্রতিনিধি তথ্য সুত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:কুমিল্লা জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
নাঙ্গলকোট উপজেলা বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। অবস্থান ও সীমানা নাঙ্গলকোট উপজেলা কুমিল্লা শহর থেকে সড়ক বা রেল পথে ৪১ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। নাঙ্গলকোট উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৩°২৯' এবং ২৩°৪২' এর মধ্যে ৯০°৫৯' এবং ৯১°০৫' দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। এ উপজেলার পূর্বে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা, উত্তরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও লালমাই উপজেলা, পশ্চিমে লাকসাম উপজেলা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা এবং দক্ষিণে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা ও ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলা অবস্থিত। এর আয়তন ২২৫.৯৫ বর্গ কিলোমিটার। ইতিহাস কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলাটি ১৯৮৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা হয়; উপজেলা প্রতিষ্ঠার পূর্বে এটি লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অংশবিশেষ ছিল। প্রশাসনিক এলাকা নাঙ্গলকোট উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম নাঙ্গলকোট থানার আওতাধীন। পৌরসভা: নাঙ্গলকোট ইউনিয়নসমূহ: ১নং বাঙ্গড্ডা ২নং পেড়িয়া ৩নং রায়কোট ৪নং মৌকরা ৫নং মক্রবপুর ৬নং আদ্রা দক্ষিণ ৭নং জোড্ডা পশ্চিম ৮নং ঢালুয়া ৯নং দৌলখাঁড় ১০নং বক্সগঞ্জ ১১নং সাতবাড়িয়া ১২নং হেসাখাল ১৩নং বটতলী ১৪নং জোড্ডা পূর্ব ১৫নং রায়কোট দক্ষিণ ১৬নং আদ্রা উত্তর জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে এখানকার জনসংখ্যা ৩,৬৯,৬৫২ জন (প্রায়); যার মধ্যে পুরুষ ১,৬৮,৯৫৫ জন (প্রায়) এবং মহিলা ২,০০৬৯৭ জন (প্রায়)। এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে লোকসংখ্যার ঘনত্ব ১,৫৬৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২,২৫,৭১৭ জন; পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৫,০৩৯ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১,১০,৬৭৮ জন। বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩০%। এখানে মোট পরিবারের সংখ্যা ৭২,৭১৭ টি। শিক্ষা ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে এখানে শিক্ষার হার ৬৫%; যার মধ্যে পুরুষ ৬৮% এবং মহিলা ৬২%। কৃষি ২৩,৮৩৪ হেক্টর ফসলী জমি (এক ফসলী জমি ৩,০১৫ হেক্টর, দুই ফসলী জমি ৪,৩৬৭ হেক্টর, তিন ফসলী জমি ৯,১১৮ হেক্টর); নলকূপের সংখ্যা ৪,২৭৬ টি, গভীর নলকূপ ১২৩ টি অ-গভীর নলকূপ ২,৪২৩ টি শক্তি চালিত পাম্প ৪৮৮ টি, বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা ৭৮,২৬৭ মেঃ টন। অর্থনীতি নাঙ্গলকোট উপজেলার অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি মূলত কৃষি নির্ভর। ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের জন্য কোন কল-কারখানা নাঙ্গলকোটে গড়ে উঠেনি। কুটির শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রেও নাঙ্গলকোট অনেকখানি পিছিয়ে আছে। তবে মৎস্য পোনা উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে, যা বাংলাদেশের মৎস্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করছে। এখানকার প্রায় ৩০/৩৫ ভাগ পরিবার প্রবাসী আয়ের উপর নির্ভরশীল। যোগাযোগ ব্যবস্থা পাকা রাস্তা ১৪৭.০০ কিঃমিঃ; অর্ধ পাকা রাস্তা ৮.০০ কিঃমিঃ; কাচা রাস্তা ৩৩৪ কিঃমিঃ; ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা ৪৬৬ টি, নদীর সংখ্যা ০১ টি। ট্রেনে যাতায়াত সুবিধা রয়েছে। এই উপজেলার উপরদিয়ে ঢাকা -চট্টগ্রাম রেললাইন বয়ে গেছে। এই উপজেলায় দুইটি ট্রেন স্টেশনে রয়েছে- নাঙ্গলকোট স্টেশন ও হাসানপুর স্টেশন। কৃতি ব্যক্তিত্ব রঙ্গু মিয়া বীর বিক্রম আব্দুল গফুর ভূইয়া - প্রাক্তন সাংসদ। এ কে এম কামরুজ্জামান - চিকিৎসক ও প্রাক্তন সাংসদ। ওমর আহাম্মদ মজুমদার - প্রাক্তন সাংসদ। কাজী জাকের হোসেন - প্রাণিবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জয়নাল আবেদীন ভুঁইয়া - প্রাক্তন সাংসদ। নঈম নিজাম - সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট, সম্পাদক- বাংলাদেশ প্রতিদিন। রফিকুল ইসলাম - ডায়রিয়া নিরাময়ী খাবার স্যালাইনের আবিষ্কারক। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন - বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি। জনপ্রতিনিধি আরও দেখুন কুমিল্লা জেলা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:কুমিল্লা জেলার উপজেলা বিষয়শ্রেণী:নাঙ্গলকোট উপজেলা
নাঙ্গলকোট উপজেলা
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় অবস্থিত। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের অন্যতম নব্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাস পটুয়াখালীর প্রবেশপথে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালীস্থ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্কয়ার থেকে ৫ কিলোমিটার পুবে দুমকি উপজেলা সদরে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। জেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় পটুয়াখালী কৃষি কলেজ; যা ১৯৭৯-৮০ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের অধিভুক্ত হয়ে বেসরকারি কৃষি কলেজ হিসেবে স্নাতক পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০০ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কৃষি কলেজাটিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদ্বোধন করেন। ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী কৃষি কলেজ বিলুপ্ত করে ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ আইন পাস হয় এবং ২০০২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বাস্তব রূপ লাভ করে। প্রথমিকভাবে এর অবকাঠামো উন্নয়নে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রশাসন ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ যোগদান করেন।ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক এবং প্লানিং বোর্ড এর পরিচালক ছিলেন ক্যাম্পাস ৭২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস; এর মধ্যে ৩৫ একরের ওপর মূল ক্যাম্পাস আর এর অদূরে ৩৭ একর জমির ওপর বিশাল কৃষি গবেষণা খামার। মূল ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে বৃক্ষশোভিত সুদীর্ঘ একটি লেক রয়েছে। ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিমাংশে অত্যাধুনিক ডিজাইনের পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল বিদ্যমান। একাডেমিক ভবন থেকে হোস্টেলে যাওয়ার পথেই মসজিদের অবস্থান। মসজিদের পাশেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং এর উল্টো দিকে রয়েছে লাইব্রেরি ভবন। একটি প্রশস্ত রাস্তা ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে পুবের পীরতলা থেকে পশ্চিমের পটুয়াখালী-বাউফল মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ সড়কের দক্ষিণ দিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক কোয়ার্টার আর এর দক্ষিণে রয়েছে ‘সৃজনী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ’ নামের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মূল ক্যাম্পাসের পুব দিকে পীরতলা বন্দর পেরুলেই ৩৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কৃষি গবেষণা খামার। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে একটি আউট ক্যাম্পাস; যা বরিশাল জেলার খানপুরা বাবুগঞ্জে ১২.৯৭ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত।বহিঃস্থ ক্যাম্পাসটি বরিশাল জেলা শহর থেকে ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত।। সাগর সৈকত কুয়াকাটায় ফিশারিজ ফ্যাকাল্টি, সমুদ্র বিজ্ঞান ও ফরেস্টি বিজ্ঞানসহ তিনটি পৃথক অনুষদ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। thumb|ফ্রেমহীন|300x300পিক্সেল|পবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন শিক্ষা পদ্ধতি চারটি অনুষদ নিয়ে শুরু হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম এবং বর্তমানে আটটি অনুষদে কার্যক্রম চলমান; অনুষদগুলো হলোঃ কৃষি অনুষদ, ব্যবসা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা অনুষদ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ(ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন ও এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী)(বরিশাল ক্যাম্পাস), মৎসবিজ্ঞান অনুষদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ, নিউট্রিশন ও ফুড ম্যানেজমেন্ট অনুষদ এবং ল এন্ড ল্যান্ড এডমিনিষ্ট্রেশন। কৃষি অনুষদে ২০০ জন, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ (ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন এ ৬ ০জন ও এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী ৬০ জন) এবং বিবিএ ও সিএসই-তে ৭০ জন করে শিক্ষার্থী প্রতি সেশনে ভর্তির সুযোগ পায়। ২০১৫-১৬ সেশনে চালু করা হয় ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এন্ড এডমিনিষ্ট্রেশন নামে একটি নতুন অনুষদ। alt=৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ এর ভাস্কর্য|ডান|ফ্রেমহীন|300x300পিক্সেল|৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ এর ভাস্কর্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকার কোর্স ক্রেডিট সিস্টেম পদ্ধতি চালু রয়েছে। সেমিস্টার পদ্ধতির এ শিক্ষা ব্যবস্থায় কোর্স যথাসময়ে শেষ হয় বিধায় কোনো সেশনজট থাকে না। আটটি সেমিস্টারে শিক্ষাপর্ব শেষ হয়। এ ছাড়াও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম ২০০২ সালে স্নাতক পর্যায়ে কৃষি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা চালু করা হয়। হাতে-কলমে শিক্ষা দানের জন্য এখানে রয়েছে ১৪টি সমৃদ্ধ গবেষণাগার বা ল্যাবরেটরি, যা বর্তমানে অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংবলিত একটি সুবৃহৎ কেন্দ্রীয় গবেষণাগারও রয়েছে চালুর অপেক্ষায়। কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য রয়েছে চারটি প্রদর্শনী খামার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ অর্থাৎ ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের জন্য ১২ সপ্তাহের ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক; স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে হাতে-কলমে কাজ করাই এ ইন্টার্নিশিপের প্রধান লক্ষ্য। কৃষকদের অভিজ্ঞতার সঙ্গে ইন্টার্র্নিদের লব্ধ জ্ঞানের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটানোই ইন্টার্নিশিপের প্রধান লক্ষ্য; ফলে স্থানীয় কৃষকরা মান্ধাতা আমলের কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ডান|285x285পিক্সেল|ফ্যাকাল্টী বিল্ডিং আবাসন ব্যবস্থা ছাত্র হলসমূহ শের-ই-বাংলা হল-১ শের-ই-বাংলা হল-২ এম.কেরামত আলী হল বঙ্গবন্ধু হল ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হল(বরিশাল ক্যাম্পাস) ছাত্রী হলসমূহ কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল ফজিলাতুন্নেছা হল'শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল(বরিশাল ক্যাম্পাস) এই আবাসিক হলে প্রায় ৩০০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অবস্থানের সুযোগ পায়। ভর্তির পর ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের দিন থেকেই প্রত্যেক শিক্ষার্থী হলে থাকার সুযোগ পায়। মাস্টার্সদের জন্য একটি এনেক্স ভবন নির্মিত হয়েছে। লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। দুই তলা বিশিষ্ট লাইব্রেরি ভবনে ২০ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক বই, ভলিউম, সাময়িকী রয়েছে। এই লাইব্রেরীর ভিতরে রয়েছে মুজিব কর্ণার; যেখানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক প্রায় ১০০ টির মত বই রয়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার উদ্দ্যেশ্যে আসতে পারে এবং নিড়িবিলি পড়াশোনা করতে পারে। এখানকার সাইবার কেন্দ্রে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃস্থ ক্যাম্পাসে দুই তলা বিশিষ্ট একটি লাইব্রেরি রয়েছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ঘাসফুল বিদ্যালয়, আলোকতরী সাংস্কৃতিক সংগঠন, উদীচী, রংধনু, কৌনিক ব্যান্ড, Tune cruft, ডিবেটিং সোসাইটি, ক্যারিয়ার ক্লাব, ট্রাভেলার্স এসোসিয়েশন,বায়োস্কোপ, পাঠচক্রসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে এখানে। পাঠচক্রের আয়োজনে মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক দেয়াল পত্রিকা বের করা হয়। এছাড়াও সাম্প্রতিক নানা বিষয়ের ওপর আয়োজন করা হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার। আরও দেখুন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যসূত্র পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আ.ক.ম মোস্তফা জামান স্যারের সার্টিফিকেট নিয়ে অপপ্রচার করছে বিপথগামী স্বার্থান্বেষী কতিপয় গোষ্ঠী।https://bdnews20.com/post/বাংলার-সংবাদ/পবিপ্রবি {{}} বহিঃসংযোগ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:২০০২-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:বরিশাল বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটি প্রতিষ্ঠা করেন সৈয়দ আলী আশরাফ। বিশ্ববিদ্যালয়টি বহি ক্যাম্পাস বিহীন। ১৯৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে এটি অনুমোদন লাভ করে। ২০১৬ সালে অবৈধভাবে ক্যাম্পাস শাখা বাড়ানো এবং সনদ বাণিজ্যের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এটি বন্ধ করে দেয়। অনুষদ এখানে বিবিএ, এমবিএ, এলএলবি, ইংরেজিতে বিএ অনার্স সহ বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা দান করা হত। এখানে নিন্মলিখিত অনুষদ ছিল: ধর্মীয় বিজ্ঞান অনুষদ মানব বিজ্ঞান অনুষদ প্রাকৃতিক বিজ্ঞান অনুষদ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংখ্যা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩১৫৪। প্রতি বিভাগে প্রায় ১০ জন শিক্ষক ছিল। স্থায়ী শিক্ষক ৭২ জন, অস্থায়ী শিক্ষক ছিল ৫০ জন। গ্রন্থাগার গ্রন্থাগার খোলা হত সকাল ১০.০০ মিনিটে এবং বন্ধ হত রাত ৮.০০টায়। গ্রন্থাগারের কার্ডধারীরা বই সংগ্রহ করতে পারত এবং বাসায় নিতে পারত। পাঠ্য বই ছাড়াও পত্রিকা, অভিসন্দর্ভ, রেফারেন্স বই, মানচিত্র এবং দুর্লভ বই এর সংগ্রহ ছিল এতে। এখানে একসাথে ২৫ জন থেকে ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী বসে পড়তে পারত। গ্রন্থাগার ভবন এডমিন ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ছিল। প্রায় ২০,০০০ বইয়ের সংগ্রহ ছিল এই গ্রন্থাগারে। আরও দেখুন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:১৯৮৯-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বিলুপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পাস স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ঢাকা শহরে ২টি। প্রধান ক্যাম্পাস এবং বিজয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস ২টি ধানমন্ডিতে অবস্থিত। কাঞ্চন পূর্বাচলে একটি পার্মানেন্ট ক্যাম্পাস রয়েছে বিভাগ সমূহ স্কুল অব বিজনেস এন্ড সোস্যাল ষ্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস ষ্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট অব জার্নালিজম, কমিউনিকেশন, এবং মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ ষ্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট অব ল স্কুল অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট অব কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট অব ইনভারমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট অব আর্কিটেচার স্কুল অব হেলথ সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট অব ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেল্থ ডিপার্টমেন্ট অব ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:২০০২-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্থাপত্য বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Bangladesh University) বাংলাদেশের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থিত । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানটি উন্নত শিক্ষার মান বজায় রেখে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভাগ সমূহ কম্পিটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইংরেজি সমাজবিজ্ঞান আইন গণিত ফার্মাসি ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং আর্কিটেকচার বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হোম ইকোনমিক্স ঐতিহাসিক পটভূমি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি কাজী আলীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ এর অধীনে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী এবং তার পাঠক্রম সরকার সেইসাথে প্রোগ্রাম দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদন করা হয়েছে । বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে ডিগ্রী প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়. তারা বিশ্বমানের পেশাদার বৃহৎ বাংলাদেশি সম্প্রদায় ও বিশ্বের প্রয়োজন প্রতিক্রিয়াশীল উত্পাদক উদ্দেশ্য নিয়ে গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রয়োগ জ্ঞান অনুগমন শ্রেষ্ঠত্ব এবং নতুনত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। ক্যাম্পাস বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি একটি সমৃদ্ধিশালী আবাসিক ক্যাম্পাস এবং সম্প্রদায়ের পাদদেশে এবং ৬ একর উপর বসা হয় । লাইব্রেরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ১ ও ৫ এর নিচতলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি অবস্থিত। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে ৫০০ জনেরও বেশি ছাত্রের পড়ার ব্যবস্থা আছে। আরও দেখুন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যসূত্র বহি:সংযোগ প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:২০০১-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি () বটেশ্বর সিলেট এ অবস্থিত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ভার্সিটিটি ৩ মে ২০০৩-এ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে ও "প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এক্ট ১৯৯২" এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত করেন। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এই ভার্সিটিতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়, প্রতি বছরে তিনটি সেমিস্টার তথা টার্ম থাকে, তিনটি টার্মের নাম তিনটি ঋতুর ইংরেজি নামে নামকরণ করা হয়েছে, সেগুলো হলোঃ স্প্রিং, সামার ও অটাম। স্নাতক কোর্সগুলো ৪ বছর মেয়াদি হয়, আর স্নাতকোত্তর কোর্সগুলো ১ বছর মেয়াদি হয়। ইতিহাস মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ৩ মে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তিনটি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এর অস্থায়ী ক্যাম্পাসটি সিলেট শহরের জিন্দাবাজারে অবস্থিত। ৪টি অনুষদের অধীনে ৬ টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি সুনামের সাথে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সমবর্তন অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে ২২ এপ্রিল ২০১০ এবং ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ সালে। একাডেমিক কার্যক্রম অনুষদ এবং বিভাগসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ৪টি অনুষদের অধীনে মোট ৬টি বিভাগ রয়েছে: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ তড়িৎ ও তড়িৎযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ইংরেজি বিভাগ অর্থনিতি বিভাগ আইন অনুষদ আইন বিভাগ স্নাতকোত্তর এমএসসি ইন এমআইএস বিবিএ সম্পন্নকারীদের জন্য এমবিএ যেকোন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্নকারীর জন্য এমবিএ ইংরেজিতে মাষ্টার্স এলএলএম অতিরিক্ত শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম অ্যানড্রয়েড এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোকন্ট্রোলার প্রোগ্রামিং পাদটিকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:২০০৩-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়শ্রেণী:সিলেট জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:সিলেট বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট
বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র। অবস্থান ও মজুদ বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রটি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে এটির অবস্থান ৪০ কিলোমিটার পূর্বে। তিতাস ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র এর মতো এটিও ১৯৬৯ সালে তদানিন্তন পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি আবিষ্কার করে। বাখরাবাদের ক্ষেত্রটি সরু ও লম্বাটে, এবং প্রায় ৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এখানকার মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১.০৪৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। ১৯৮৪ সালে বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র হতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। ২০০৯ সালের ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত এখান থেকে সর্বমোট ৬৯৬.৫৯৬ বিলিয়ন ঘনফুট অর্থাৎ মোট মজুদের ৬৬.৪০৬% উত্তোলন করা হয়েছে। কূপ বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের ২ স্থানে মোট ৮টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটিই উলম্বভাবে খোঁড়া কূপ। বাকিগুলো তীর্যকভাবে খোঁড়া হয়েছে। কূপগুলো চালু হবার পরে সর্বোচ্চ গ্যাস উৎপাদন হয়েছে ১৯৯২ সালে, যখন দৈনিক ২১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হতো। বরতমানে ৫টি কূপ চালু আছে যা থেকে দিনে ৩৫-৩৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস তোলা হয়। বাকি ৩টি কূপ জলাবদ্ধতার কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। এখান থেকে উত্তোলিত গ্যাস বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেডের মাধ্যমে সারাদেশে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে এখানকার কন্ডেনসেট ও গ্যাসের অনুপাত ০.৭০ এবং পানি ও গ্যাসের অনুপাত ১৩.০৮৮ বিবিএল/মিলিয়ন ঘনফুট। এখানকার কন্ডেনসেটকে প্রক্রিয়াজাত করে পেট্রল ও ডিজেল তৈরি করা হয়, যা মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড বাজারজাত করে থাকে। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র
বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র
পাবনা ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের পাবনার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের প্রাচীন দশটি ক্যাডেট কলেজের মধ্যে অন্যতম; যা ১৯৮১ সালের ৭ আগস্ট 'পাবনা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ' থেকে 'ক্যাডেট কলেজ'-এ রূপান্তরিত হয়। এই কলেজটি পাবনা শহর থেকে ১০ কি.মি. দূরে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। আজ পর্যন্ত পাবনা ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ অন্যান্য বিষয়ে সাফল্য বজায় রেখেছে। অবস্থান পাবনা ক্যাডেট কলেজ পাবনা জেলার জালালপুরে, ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। পাবনা শহর থেকে এটি ৬ কিমি দূরে অবস্থিত যা বাগচিপাড়া বাজারের কাছে। উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র সৌভিক ধর গর্ব আরো দেখুন মেরিন একাডেমী, পাবনা বহি:সংযোগ পাবনা ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের ওয়েবসাইট https://pcc.gov.mil.bd/ পাবনা ক্যাডেট কলেজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://pcc.army.mil.bd/ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজ বিষয়শ্রেণী:পাবনা জেলার কলেজ বিষয়শ্রেণী:১৯৮১-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
পাবনা ক্যাডেট কলেজ
thumb|330px|মুরং উপজাতিদের গো-বলি উৎসব। মুরং বাংলদেশের একটি জাতিগোষ্ঠি। মুরুং শব্দটি বহুবচন যার একবচন হল ‘ম্রো’। ‘ম্রো’ শব্দের অর্থ মানুষ। ম্রো ভাষায় ‘ম্রো’রা নিজেদের ‘মারুচা’ বলে থাকে। মুরুংদের ভাষা মৌখিক। আদি ইতিহাস ম্রো পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন জাতি এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি। ম্রোদের আদি নিবাস মায়নামারের আরাকান রাজ্য। আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিঃ অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৫৯২ বছর আগে ম্রোরা বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, থানছি ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। ম্রোরা মূলতঃ প্রকৃতি পূজারী হলেও অধিকাংশই 'বৌদ্ধ' ধর্মাবলম্বী এবং 'খিস্টান' ধর্ম পালন করে। তবে কয়েক বছর আগে ম্রোদের মধ্যে একটা নতুন ধর্ম ‘ক্রামা’ আর্বিভাবের ফলে বর্তমানে ম্রোদের একটি অংশ ক্রামা ধর্মের অনুসারি। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে মুরুং উপজাতিরা আরকান থেকে পালিয়ে আলীকদমের বিভিন্ন পাহাড়ী উপত্যকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তবে বার্মার আকিয়াব জেলায় এখনো মুরুং উপজাতীয় বসতি বিদ্যমান বলে জানা যায়। বর্তমান অবস্থান উপজেলা সদর থেকে দেড় কি.মিটার দুরে চিওনী পাড়া ও আমতলী এলাকায় এ সম্প্রদায়ের ২টি পাড়া রয়েছে। তাছাড়া প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকা তৈন মৌজা, মাংগু মৌজা, চ্যৈং মৌজা, চাইম্প্রা মৌজা, তৈনফা মৌজা এবং তৈন খাল এলাকা ও মাতামুহুরী সন্নিহিত পাহাড়ী এলাকায় তাদের বসতি রয়েছে। তবে মাতামুহুরী নদী তীরবর্তী ও পাহাড়ে তাদের বসবাস উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে। মুরুং সম্প্রদায়ের সমাজ ব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক। মুরুংদের একটি অংশ আলীকদমের প্রত্যন্ত পাহাড়ী এলাকায় তাদের ‘‘কিম’’ ঘর তৈরী করে বসতি স্থাপন করেন। মুরুংরা তাদের ঘরে জীব জন্তুর মাথা ঝুলিয়ে রেখে থাকে। মুরুংদের মধ্যে কয়েকটি গোত্র রয়েছে; এর মধ্যে- ঙারুয়া প্রেন্জু সাংকান জালা কানবক নাইজাহ তাং দেং প্রভৃতি। প্রত্যেক পাড়ায় তাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় একজনকে ‘কার্বারী’ নিযুক্ত করা হয়। মুরুং নারী-পুরুষ কঠোর পরিশ্রমী বলে এদের স্বাস্থ্য সুঠাম। মেয়েরাও পুরুষের পাশাপাশি পাহাড়ী জুমচাষে সমান পারদর্শী। পোশাক মুরংরা অত্যন্ত স্বল্পবসন পরিধান করে। মেয়েরা ‘ওয়াংকাই’ নামে একধরনের ছোট পরিধেয় ব্যবহার করে। যা নাভীর নীচ থেকে হাঁটুর উপরিভাগ পর্যন্ত পড়ে থাকে। এটি ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়ামাত্র। মেয়েরা পায়ে “কক ক্যান” (নুপুর) কোমরে ‘‘রকম” (বিছা) পড়ে থাকে। পুরুষগণ ‘ডং’ (লেংটি-বিদ্রি) নামে একধরনের কিঞ্চিতকর বস্ত্র পরিধান করে। মুরুং মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও মাথায় লম্বা চুল রাখে। নারী-পুরুষরা মাথায় অধিকন্তু “চুরুত” (চিরুনী) গেঁথে রাখতে দেখা যায়। মুরুং মেয়েরা মাথায় কানে ও খোঁপায় বিভিন্ন ধরনের “পাও” (পাহাড়ী ফুল) গুজে রাখে। ছেলেরাও মাথার চুলকে খোপা আকারে বেঁধে রাখে। মুরংরা দাঁতের মধ্যে এক ধরনের রংয়ের প্রলেপ দিয়ে থাকে। লোহাকে উত্তপ্ত করে কাচা বাঁশের সাথে লাগিয়ে নির্গত রসকে দাঁতে লাগিয়ে দেয়। মুরুং সম্প্রদায়ের ছেলে একই গোত্রের কোন মেয়েকে বিবাহ করতে পারেনা। মুরুং সমাজে তিন পদ্ধতিতে বিবাহ হয়ে থাকে। রীতি অনুযায়ী মুরুং ছেলে কন্যার দেহের মূল্য বাবদ রৌপ্য মুদ্রায় ১১০/= টাকা, মায়ের দুধের দাম বাবদ ১০/= টাকা প্রদান করতে হয়। এসব রৌপ্য টাকা অবশ্য পরিশোধনীয় বলে গণ্য করা হয়। একই গোত্রের মধ্যে ধর্মীয়ভাবে বিবাহ নিষিদ্ধ। মুরুং দম্পতির মধ্যেও মনের মিল না থাকলে তালাক প্রথা বিদ্যমান রয়েছে। সংস্কৃতি মুরুং নৃত্যের মধ্যে ছেলে মেয়েরা গালে, ঠোঁটে ও কপালে রংয়ের প্রলেপ লাগায়। নৃত্যের আগে ১৫ থেকে ২০ জন মুরুং যুবক-যুবতী মুখোমুখী দাড়িয়ে অর্ধ চন্দ্রাকৃতি রচনা করে। এরপর তাদের তৈরী বাঁশির সুর ও বাজনার তালে তালে নৃত্য পরিবেশ করে থাকে। নাচে ও গানে বিবাহিত মেয়েদের অংশ নিতে দেয়া হয়না। মুরুং সম্প্রদায় নিজেরাই ‘‘প্লুং” নামের একটি বাঁশি তৈরী করে। পাহাড়ে উৎপন্ন ‘‘বুদুম’’ (এক ধরণের পাহাড়ী লাউ) এর শুকনো খোলের সাথে ৫/৬ বা ততোধিক “কাও” (বাঁশের কঞ্চি) এর টুকরা দিয়ে এ বাঁশীটি তৈরী করা হয়। রীতিনীতি মুরুং সম্প্রদায় মূলতঃ প্রকৃতি পুজারী। তারা ইহকালকেই স্বর্বস্ব জ্ঞান করেন। তাদের মতে পরকাল বলতে কিছুই নেই। মুরুংদের ধর্মীয় বিধি নিষেধ সংবলিত কোন ধর্মগ্রন্থ নেই। তাদের ধর্মবিশ্বাসে আকীর্ণ প্রধান উৎসবের নাম হলো “চিয়া-ছট-প্লাই” অর্থাৎ গো-হত্যা উৎসব। গো-হত্যাকে ধর্মীয় অনুষঙ্গ হিসাবেই পালন করা হয়। প্রতিবছর জুমের ফসল ঘরে তোলার আগে মুরুং সম্প্রদায় মহাধুমধামের সাথে এ উৎসব করে। এছাড়া এ সম্প্রদায়ের পরিবারে কারো অসুখ বিসুখ হলে তারা রোগ বালাই থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উদ্দেশ্যে ‘চিয়া-চট-প্লাই’ পালনের মানত করে থাকন। তারা “চাম্পুয়া” নামের অপর একটি উৎসব পালন করে থাকে। সৃষ্টিকর্তা তাদের ধর্মীয় বিধান কলাপাতায় লিপিবদ্ধ করেছিল বিশ্বাসে তারা কলাপাতা কেটে এ উৎসব করে থাকে। এ সম্প্রদায়ের অনেকে আবার ‘‘ক্রামা’’ নামের অপর একটি ধর্ম মতেও বিশ্বাস করে থাকে। মুরুং সম্প্রদায়ের কোন লোকের মৃত্যু হলে মৃতদেহ সপ্তাহ পর্যন্ত ঘরের মধ্যে রাখা হয়। মৃত ব্যক্তির পাশে শুকর, ছাগল ও মোরগ জবাই করে পরিবেশন করা হয়। মৃতকে নদী তীরবর্তী চিতায় দাহ করার আগ পর্যন্ত গান বাজনা ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে উল্লাস করা হয় তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠী
মুরং
ওরাওঁ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি বড় উপজাতি। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্য, ছত্রিশগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গে এঁদের বাস। এছাড়া, ভারতের বাইরে বাংলাদেশেও এঁরা বাস করেন । ওরাঁও রা যে ভাষায় কথা বলেন, তার নাম কুরুখ ভাষা। তাদেরকে কুরুখ জাতিও বলা হয়। এটি দ্রাবিড় ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত। উৎস ওরাঁও আদিবাসীরা নৃতাত্ত্বিক বিচারে আদি-অস্ট্রেলীয় (প্রোটো-অস্ট্রেলীয়) জনগোষ্ঠীর উত্তর পুরূষ। নৃতত্ত্ববিদগণের মতে একই অম্ফলের মুণ্ডা, মালপাহাডি় ও সাঁওতালদের সঙ্গে ওরাঁওদের ঘনিষ্ঠ জনতাত্ত্বিক সম্পর্ক রযে়ছে। ভারতীয় নৃতাত্ত্বিক সোসাইটির মতানুসারে কুরুখ জাতি বা ওরাঁওদের আদিবাস ছিলো কঙ্কন অঞ্চলে যেখান থেকে তারা অভিবাসিত হয়ে উত্তর ভারতে চলে আসে। কঙ্কনি ভাষার সাথে কুরুখ ভাষার উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য রয়েছে। জনগণ ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে ওরাওঁ জনসংখ্যা ছিল প্রায় ছয় হাজার। অঞ্চল বাংলাদেশে বর্তমানে নওগাঁ,রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ,দিনাজপুর,রংপুর,বগুড়া ও রাজশাহী জেলা ওরাওঁদের প্রধান বসতিস্থল। তবে ১৮৮১ সালের লোকগণনায় দেখা যায় যে, উত্তরবঙ্গ ছাড়াও তখন ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় কিছুসংখ্যক ওরাঁও আদিবাসীর বসতি ছিল। ধর্ম অনেক আদিবাসী জাতির মতো ওরাঁও সমাজও সর্বপ্রাণবাদী প্রকৃতি উপাসক। তবে তাদের ধর্মবিশ্বাসে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে সর্বশক্তিমান ‘ধরমেশ’ স্বীকৃত। এই সর্বশক্তিমানের অবস্থান সূর্যে। তাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান অধিকাংশই সূর্যকে ঘিরে উদযাপিত হয়। এছাড়া ওরাঁও সমাজ নানা দেবতায় বিশ্বাসী। ঐসব দেবতার প্রতীকী অবস্থান গ্রাম, কৃষিসমপদ, অরণ্য, মহামারী ইত্যাদি বিষয়কে কেন্দ্র করে। এদের তুষ্টির জন্য রযে়ছে ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। কোন কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে হিন্দুদের পূজার মিল পাওয়া যায়, যেমন হিন্দু সম্প্রদায়ের ‘ভাদু’ উৎসবের সঙ্গে ওরাওঁদের ‘করম’ উৎসবের মিল অত্যন্ত স্পষ্ট। কদম শাখাকে ঘিরে অনুষ্ঠিত এ উৎসবটি বৃক্ষপূজার নামান্তর। সংস্কৃতি ওরাওঁদের প্রধান উৎসবের নাম কারাম।বর্তমানে তারা খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করে। তথ্য উৎস আরো দেখুন Sinlung Sinlung - Indian tribes বই:The Orāons of Sunderban (প্রকাশকাল: ১৯৬৩), ভাষা:ইংরেজি, লেখক: Amal Kumar Das, Manis Kumar Raha বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের উপজাতি বিষয়শ্রেণী:ঝাড়খণ্ডের উপজাতি বিষয়শ্রেণী:উড়িষ্যার উপজাতি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠী
ওরাওঁ
কোচেরিল রমন নারায়ানান (; ২৭ অক্টোবর ১৯২০ – ৯ নভেম্বর ২০০৫) ভারতের ১০ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। প্রাথমিক জীবন কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদ পরিবার সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতিত্ব রাষ্ট্রপতির বিচক্ষণতার পরিচয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার জন্য উদ্বেগ কার্যালয় ত্যাগ পরবর্তী জীবন কে. আর. নারায়ানান ফাউন্ডেশন আরও দেখুন তথ্যসূত্র |- বিষয়শ্রেণী:২০০৫-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:১৯২০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:ভারতের রাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:ভারতের উপরাষ্ট্রপতি বিষয়শ্রেণী:দশম লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:নবম লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:অষ্টম লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:কেরালা থেকে লোকসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:কোত্তায়াম থেকে মানুষ বিষয়শ্রেণী:কেরল থেকে মানুষ বিষয়শ্রেণী:মালায়ালি রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:মালায়ালি ব্যক্তিত্ব বিষয়শ্রেণী:চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিষয়শ্রেণী:কেরল থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ
কে. আর. নারায়ণন
শালিক বা শালিখ Sturnidae (স্টার্নিডি) গোত্রের অন্তর্গত একদল ছোট ও মাঝারি আকারের বৃক্ষচর পাখি। স্টার্নিডি নামটি লাতিন Sturnus থেকে এসেছে যার অর্থ শালিক। অধিকাংশ বড় আকৃতির এশীয় শালিক প্রজাতি ময়না নামে পরিচিত। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং বিষুবীয় অঞ্চলের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে শালিক দেখা যায়। কয়েক প্রজাতির এশীয় ও ইউরোপীয় শালিক প্রজাতিকে উত্তর আমেরিকা, হাওয়াই ও নিউজিল্যান্ডে অবমুক্ত করা হয়েছে। শালিক বেশ কয়েক ধরনের হয়। সাদা-কালো শালিককে ডাকা হয় গো-শালিক বা গোবরে-শালিক নামে। এদের ঠোঁটের রং গাঢ় কমলা-হলুদ এবং চোখের মণি হালকা হলুদ রঙের। অন্যদিকে ঝুঁটি-শালিকও সাদা-কালো রঙের হয় কিন্তু এর মাথায় একটি ঝুঁটি রয়েছে। গাঢ় বাদামি শালিককে বলা হয় ভাত শালিক। এদের ঠোঁট ও পা উজ্জ্বল হলুদ রঙের। এর বাইরেও রয়েছে গাঙশালিক, বামন-শালিক ইত্যাদি। শালিকের স্বরতন্ত্রী বেশ জটিল হওয়ায় এদের ডাক বিচিত্র ও বিভিন্ন স্বরে ওঠানামা করে। এরা খুব সহজেই আশেপাশের আওয়াজ আর মানুষের কথা অনুকরণ করতে পারে। এরা মানুষের গলার স্বর শুনে নির্দিষ্ট কাউকে চিনতে সক্ষম এবং বর্তমানে এরা মানব ভাষা বিষয়ক গবেষণার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। গায়ক পাখি হিসেবেও শালিকের সুনাম রয়েছে, তবে কাঠ-শালিক সবচাইতে ভালো গাইতে পারে। প্রায় সব প্রজাতির শালিকই বিভিন্ন স্বরে ডাকতে পারে এবং অন্য শালিকের কণ্ঠ নকল করতে পারে। সামাজিক পাখি হিসেবে শালিকের সুনাম রয়েছে। এরা দলবেঁধে ডাকে ও ঝগড়াঝাঁটিও করে। সধারণত শালিকের বাসা বাঁধতে সময় লাগে ৫-৭ দিন; তবে গো-শালিক ১০-১৫ দিন সময় নেয়। শালিক একবারে ৩-৭টি ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটতে বাচ্চা মালিক জন্ম নিতে সময় লাগে ১৫-২১ দিন। বাচ্চা শালিকগুলো সাধারণত ১৯-২৭ দিন সময় হয় উড়তে শেখার জন্য। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Starling videos the Internet Bird Collection. A murmuration of starlings (ভিডিও) * বিষয়শ্রেণী:শালিক
শালিক
মোহনপুর বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান এ উপজেলার উত্তরে মান্দা উপজেলা, পূর্বে বাগমারা উপজেলা ও দূর্গাপুর উপজেলা, দক্ষিণে পবা উপজেলা এবং পশ্চিমে তানোর উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা মোহনপুর উপজেলার ইউনিয়ন সংখ্যা ৬ টি। রায়ঘাটি ইউনিয়ন ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন মৌগাছি ইউনিয়ন জাহানাবাদ ইউনিয়ন বাকশিমইল ইউনিয়ন ধুরইল ইউনিয়ন ইতিহাস মোহনপুর উপজেলা ১৯১৭ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। থানা প্রতিষ্ঠা লগ্নে অপরাধ দমন ও প্রজার শান্তি রক্ষাই ছিল থানা প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। ১৯৬২ সালে থানা উন্নয়ন কার্যক্রমের জড়িত হয় এবং T.T.D.C (Thana Training and Development Centre) প্রতিষ্ঠা হয়; যার প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন Circle officer (Development)পরবর্তীতে প্রশাসনিক ধারাবাহিকতায় এ থানা ২৪/০৩/১৯৮৩ খ্রিঃ তারিখে উপজেলায় উন্নীত হয়। উল্লেখ্য এ উপজেলার নাম করণের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন তথ্য পাওয়া য়ায় না। ধারণা করা হয় মোহনপুর নামক একটি মৌজার নাম থেকেই উপজেলার নাম করণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে মোহনপুর ১৯৭১ খ্রিঃ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানীদের হামলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য সক্রিয় ছিল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। পাকিস্তানীদের হামলাকারিদের হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য সংবাদদাতা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু যুদ্ধের ঐ ৯ মাসে অত্র উপজেলার কোথাও পাকসেনাদের হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে কেশরহাটের সন্নিকটে সাঁকোয়া মাদ্রাসায় রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করা হলে, সেই ক্যাম্পের রাজাকারদের নির্মম অত্যাচারে অনেকেই জীবন দিয়েছেন।১৯৭১ খ্রিঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্যে অত্র উপজেলার কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতের শিলিগুড়ি জেলার পানিঘাটা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সেক্টর অনুযায়ী রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা সহ মোহনপুর উপজেলার অনেক স্থানে অপারেশন করেন। রাজাকারেরা সাঁকোয়া ক্যাম্প হতে পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামে হিন্দু পরিবার ও আওয়ামী পরিবারের বাড়ীঘর লুটপাট সহ গরু-ছাগল জোর পূর্বক ধরে এনে জবেহ করে খাওয়া এবং অনেক মা বোনের ইজ্জত নষ্ট করতেও দ্বিধাবোধ করে নি। মোহনপুর উপজেলাটি ৭ নং সেক্টরের অধীন। অত্র উপজেলার কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতে প্রশিক্ষন গ্রহণ করলেও নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বাঁকপুর গ্রামের অনেকেই প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন। ২৬-১১-১৯৭১ খ্রিঃ দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটে সাঁকোয়া রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমন করে উক্ত ক্যাম্প দখল ও সাঁকোয়াকে রাজাকার মুক্ত করে বড় রকমের সাহসিকতার প্রমাণ দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। তথ্য দাতাদের তথ্যানুযায়ী জানা যায় সাঁকোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরপাশে একই সাথে ৩৮ জনকে পুতে রাখা হয়। জনসংখ্যার উপাত্ত ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১,৭০,০২১ জন। পুরুষ ৮৫,২৩৬ জন (৫০.১৩ %) ও মহিলা ৮৪,৭৮৫ জন(৪৯.৮৭ %) । জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০৪৫ প্রতি বর্গ কি.মি. । মুসলমান ১,৬৪,৭৯৭ জন (৯৬.৯৩%), হিন্দু ৪,৩১৪ জন (২.৫৪%), খৃস্টান ৩৩৪ জন (০.১৯%), বৌদ্ধ ০ জন (০%), অন্যান্য ৫৭৬ জন (০.৩৪%)। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মসজিদ ৫০৪ টি, ঈদগাহ ১৫০ টি, মন্দির ২৪ টি । অর্থনীতি বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।তাই এই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে ঋতূ ভেদে মোহনপুর সাদারণ ভাবে অনেক ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে পান বরজ অন্যতম পানবরজ মোহনপুর এর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয় । মোহনপুর উপজেলা সবচেয়ে বড় পান হাট হচ্ছে- পাকুড়িয়া মৌগাছি ধোপাঘাটা কুঠিবাড়ি একদিল, তলা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব এডভোকেট মতিউর রাহমান - বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট রাখাল চন্দ্র দাশ - মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। আয়েন উদ্দীন, দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আরও দেখুন রাজশাহী বিভাগ রাজশাহী জেলা তথ্যসুত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:মোহনপুর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:রাজশাহী জেলার উপজেলা
মোহনপুর উপজেলা
thumb|আহমেদ শাহ দুররানি, ১৭৪৭ সালে আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্র হিসাবে আফগানিস্তানের ইতিহাস ( , ) শুরু হয় আহমদ শাহ দুররানির হাত ধরে ১৭৪৭ সালে। এর লিখিত ইতিহাস ৫০০ অব্দে হাখমানেশি সাম্রাজ্য পর্যন্ত পাওয়া যায়। প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খনন করে দেখা গেছে উত্তর আফগানিস্তানে প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে মনুষ্য বসতি ছিল। ধারণা করা হয় আফগানিস্তানের কৃষি খামার সম্প্রদায় বিশ্বের প্রাচীনতমগুলির একটি। ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের পর মধ্য এশিয়া থেকে এই এলাকায় লোক আসতে শুরু করে। এদের অধিকাংশই ছিল আর্য, যারা ইরান ও ভারতেও বসতি স্থাপন করেছিল। তখন এই এলাকার নাম ছিল আরিয়ানা। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পারস্য সাম্রাজ্য আরিয়ানা দখল করে। ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মহামতি আলেকজান্ডার পারস্যের সম্রাটকে পরাজিত করে আরিয়ানার পূর্ব সীমান্ত ও তারও পূর্বে চলে যেতে সক্ষম হন। ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর অনেকগুলি রাজ্য তার এশীয় সাম্রাজ্যের দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে ছিল সেলুসিদ সাম্রাজ্য, বাকত্রিয়া সাম্রাজ্য ও ভারতীয় মৌর্য সাম্রাজ্য। বৌদ্ধ পর্ব ১ম খ্রিস্টীয় শতকে মধ্য এশীয় কুশান জাতি আরিয়ানা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। ৩য় থেকে ৮ম শতক পর্যন্ত বৌদ্ধধর্ম ছিল এখানকার প্রধান ধর্ম। এই পর্বের অনেক বৌদ্ধমন্দিরের ধ্বংসস্তুপ আজও আফগানিস্তানে দেখতে পাওয়া যায়। হুন নামের মধ্য এশীয় এক তুর্কী জাতি ৪র্থ শতকে এসে কুশানদের পতন ঘটায়। ইসলামী পর্ব খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে আরব সৈন্যরা আফগানিস্তানে নতুন ধর্ম ইসলাম নিয়ে আসে। পশ্চিমের হেরত ও সিস্তন প্রদেশ আরবদের নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু আরব সৈন্য চলে যাওয়া মাত্রই সেখানকার জনগণ তাদের পুরনো ধর্মে ফেরত যায়। ১০ম শতকে বর্তমান উজবেকিস্তানের বুখারা থেকে সামানিদ নামের মুসলিম শাসকবংশ আফগান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেন। এক সামানিদ গজনীতে গজনভি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। গজনীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা মাহমুদ ৯৯৮ থেকে ১০৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ এলাকা শাসন করেন এবং তার সময়েই সমগ্র আফগানিস্তানে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। গজনী সাহিত্য ও শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হয়। মাহমুদের মৃত্যুর পর গজনীর প্রভাব হ্রাস পেতে থাকে এবং ১২শ শতকে পশ্চিম-মধ্য আফগানিস্তানের ঘুর শহরে ঘুরি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ঘুরিদরা আবার ১৩শ শতকে মধ্য এশিয়ার খোয়ারিজমি শাহদের কাছে পরাজিত হন। ১২২০ সালে মঙ্গোল সেনাপতি চেঙ্গিস খান এদের সবাইকে পরাজিত করে দেশটির অশেষ ক্ষতিসাধন করেন। ১৪শ শতাব্দীর শেষে মধ্য এশীয় সেনাপতি তৈমুর লং আফগানিস্তান জয় করেন ও ভারতে অগ্রসর হন। তার সন্তান ও পৌত্রেরা তার সাম্রাজ্যের পুরোটা ধরে রাখতে পারেনি, তবে তারা বর্তমান আফগানিস্তানের অধিকাংশ হেরাত থেকে শাসন করতে সক্ষম হয়। ঘুরিদ থেকে তিমুরীয় সাম্রাজ্যের শাসনামলে এখানে ইসলামী স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে। এসময় তৈরি বহু মসজিদ ও মিনার আজও হেরাত, গজনী ও মাজরে শরীফে দাঁড়িয়ে আছে। হেরাতে ১৫শ শতকে ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্রকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারার বিকাশ ঘটে। জহিরুদ্দীন মুহম্মদ বাবর ছিলেন মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিস খানের বংশধর আর বাবার দিক থেকে তৈমুর লঙের বংশধর। তিনি ১৫০৪ সালে কাবুল দখল করেন এবং তারপর ভারতে গিয়ে মুঘল সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। ১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে ভারতে অবস্থিত মুঘল সাম্রাজ্য এবং পারস্যের সাফাভি রাজবংশের রাজারা আফগানিস্তানের দখল নিয়ে যুদ্ধ করেন। সাধারণত মুঘলেরা কাবুলের দখল রাখত এবং পারসিকেরা হেরাত দখলে রাখত, আর কান্দাহারের শাসনভার প্রায়ই হাতবদল হত। এসময় পশতুন জাতি তাদের শক্তিবৃদ্ধি করে, তবে স্বাধীনতা লাভে ব্যর্থ হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:আফগানিস্তানের ইতিহাস
আফগানিস্তানের ইতিহাস
সিদ্ধিরগঞ্জ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি থানা। সিদ্ধিরগঞ্জ  বাংলাদেশের অন্যতম এক ঐতিহাসিক শিল্পনগরী মুঘল  আমলেরও পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ  সদর , কদমরসুল  বাণিজ্যিক অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক নদীবন্দর ছিল নরসিংদীর টোকবর্গী থেকে মুন্সীগঞ্জের মোহনা পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৫ মাইল শীতলক্ষ্যা নদী নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া  কোম্পানি এ অঞ্চলকে আধুনিক শিল্প বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৮৭৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর লক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড় কদমরসুল, বন্দর ও মদনগঞ্জ এবং পশ্চিম পাড়ের মোট ৪.৫ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা ঘোষণা দেয়া হয়। প্রথম পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মি. এইচটি ইউলসন। অবস্থান রাজধানী ঢাকা থেকে ১৬ কিলোমিটার পূর্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর একটি থানা সিদ্ধিরগঞ্জ। প্রশাসনিক এলাকা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন মোট দশটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, যা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত। জনসংখ্যার উপাত্ত শিক্ষা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রয়েছে ৩টি বেসরকারি ও ১টি সরকারি কলেজ, ১২টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি সরকারি মাদ্রাসা, ২টি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, ১টি সার্ভে ইন্সটিউট। অর্থনীতি পৃথিবীর বৃহত্তর জুট মিল আদমজী জুট মিল(বর্তমানে বন্ধ) ছিল এই থানার অন্তর্ভুক্ত। আদমজী পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে এটা বাংলাদেশর অন্যতম রপ্তানিকারক বাণিজ্য এলাকায় (AEPZ) পরিণত হয়। বিবিধ ৩ নং ওয়ার্ড এর ভূমি অফিসের ঠিকানা নাম জারী করার জন্য আরও দেখুন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নারায়ণগঞ্জ জেলা ঢাকা বিভাগ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:নারায়ণগঞ্জ জেলার জনবহুল স্থান
সিদ্ধিরগঞ্জ
সিবোনি ("প্রস্তর মানব") জাতির লোকেরা প্রথম অ্যান্টিগুয়াতে বসতি স্থাপন করেছিল এবং তারা এখানে প্রায় ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ছিল। এরপর দক্ষিণ আমেরিকার বর্তমান ভেনেজুয়েলা অঞ্চল থেকে আরাওয়াক জাতির লোকেরা ক্ষুদ্রতর অ্যান্টিল দ্বীপপুঞ্জ বেয়ে অভিবাসন শুরু করে এবং সিবোনিদেরকে সরিয়ে অ্যান্টিগুয়াতে বসবাস করা শুরু করে। এরপর যুদ্ধবাজ কারিব জাতির লোকেরা আরাওয়াকদেরকে পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলি থেকে উচ্ছেদ করলেও অ্যান্টিগুয়া বা বার্বুডাতে পা রাখেনি। ১৪৯৩ সালে ক্রিস্টোফার কলাম্বাস দ্বীপগুলিতে পদার্পণ করেন। তিনি বৃহত্তর দ্বীপটির নাম দেন "সান্তা মারিয়া দে লা আন্তিগা"। ১৬৩২ সালে ব্রিটিশরা দ্বীপগুলিকে উপনিবেশে পরিণত করে। ১৬৭৪ সালে স্যার ক্রিস্টোফার কডরিংটন অ্যান্টিগুয়ার প্রথম বড় আকারের চিনির খামার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ব্যবসার প্রয়োজনে বার্বুডা দ্বীপটিও লিজ নেন। আজও বার্বুডার একমাত্র শহরটি কর্ডিংটনের নামে নামাঙ্কিত। কর্ডিংটন এবং অন্যান্যরা আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল থেকে প্ল্যান্টেশনে কাজ করানোর জন্য ক্রীতদাস নিয়ে আসেন। ১৮৩৪ সালে অ্যান্টিগুয়ার দাসেরা মুক্তিলাভ করে। কিন্তু তারা প্ল্যান্টেশনের মালিকদের উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল ছিল। মুক্ত হলেও আবাদী জমির অভাব, ঋণের অভাব, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি, ইত্যাদি কারণে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আসে নি। ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত শ্রমিকদের অবস্থা খারাপ ছিল। ঐ বছর অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডাতে বাণিজ্য ইউনিয়ন আন্দোলনের জন্ম হয়। ভেয়ার কর্নওয়াল বার্ড ১৯৪৩ সালে লেবার ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে তিনি অ্যান্টিগুয়া লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এবং ১৯৫১ সালে লেবার পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত হয়। এরপর তারা আরও অনেকবার নির্বাচনে জেতেন। ১৯৭১ সালের নির্বাচনে প্রোগ্রেসিভ লেবার মুভমেন্ট ক্ষমতায় আসলেও ১৯৭৬ সালে আবার বার্ড ও লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসেন এবং এরপরের নির্বাচনগুলিতে ক্রমাগত জয়ী হয়ে হয়ে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুনর্নির্বাচিত হন। এরপর বার্ডের ছেলে লেস্টার বার্ড দলের হাল ধরেন এবং তার অধীনে দলটি ২০০৪ সাল পর্যন্ত দেশের ক্ষমতায় ছিল। ২০০৪ সালের মার্চের নির্বাচনে অ্যান্টিগুয়া লেবার পার্টি পরাজয় বরণ করে এবং ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ পার্টি ১৭টির মধ্যে ১৩টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে। ২০০৭ সালের মার্চের নির্বাচনেও ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ পার্টি আবার জয়লাভ করে। বাল্‌ড্‌উইন স্পেনসার বর্তমানে দেশের নেতা। আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:উত্তর আমেরিকার ইতিহাস
অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডার ইতিহাস
ফিজি (ফিজীয় ভাষায়: Matanitu ko Viti মাতানিতু কো ভিতি, ফিজি হিন্দি ভাষা: फिजी, ইংরেজি ভাষায়: Fiji) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এর সরকারি নাম প্রজাতন্ত্রী ফিজি দ্বীপপুঞ্জ (ফিজীয়: Matanitu Tu-Vaka-i-koya ko Viti মাতানিতু তুভাকাইকোয়া কো ভ়িতি, হিন্দি: रिपब्लिक ऑफ फीजी ফ়িজি রিপাব্লিক্‌, ইংরেজি: Republic of the Fiji Islands রিপাব্লিক্‌ অভ়্‌ দ্য ফ়িজি আইল্যান্ড্‌জ়্‌)। এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ৩,১০০ কিমি উত্তর-পূর্বে এবং হাওয়াইয়ের ৫,০০০ কিমি দক্ষিণে। ইতিহাস ১৯ শতাব্দীর শুরুতেই ইউরোপীয় আধিবাসীরা ফিজি এসেছিল। তারও আগে ১৬৪৩ সালে একজন ডাচ আবেল তাসমান ফিজি আসেন। ১৮৭৪ সালে ফিজি ব্রিটেনের উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৭০ সালের ১০ অক্টোবর, ফিজি স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯৮ সালের ২৭ জুন দেশটির নতুন সংবিধান কার্যকর হয়। একই সঙ্গে দেশের নাম ফিজি দ্বীপপুঞ্জ প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। রাজনীতি প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল ফিজি সবার কাছে দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। ফিজি মোট ৩৩২টি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়। এর মধ্যে ১০৬টি ক্ষুদ্র দ্বীপে অধিবাসীরা বসবাস করে। এর দক্ষিণে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। আর পশ্চিমে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে রয়েছে ভানুয়াতু। অর্থনীতি দেশটি জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর অনেক গুরুত্ব দেয়। এ জন্য দেশটির আমদানি এবং রফতানির ক্ষেত্র সুষ্ঠুভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। চিনির উৎপাদন, পর্যটন এবং কাপড় তৈরি সংক্রান্ত শিল্প হচ্ছে দেশটির তিনটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি। তাছাড়া, ফিজির জেলে শিল্প সম্পদও প্রচুর। এই শিল্পের মাধ্যমে ফিজি বিশ্বেও খ্যাতি অর্জন করেছে। একটা সময় ছিল এই দেশ সম্পর্কে মানুষ জানত না কিছুই। একটু একটু করে জানার পর প্রথমে এখানে আসা শুরু করে মৃৎশিল্প ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য দেশ থেকে অসংখ্য মৃৎশিল্পের ব্যবসায়ারী এখানে বসবাস শুরু করেছে। ফিজির সংস্কৃতি ম্যালেনেসিয়া সংস্কৃতির মতো। আগে ফিজির আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকলেও এখন এই দেশের সঙ্গে পশ্চিমাদের একটা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০ শতাব্দীর ৮০ দশকে ফিজি সরকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। বর্তমানে পর্যটনের আয় সারাদেশের জিডিপির ২০ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। দেশটির পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভাগে মোট ৪০ হাজার জনগণের কাজে লাগানো হয়। এ সংখ্যা হলো দেশের কর্মসংস্থানের ১৫ শতাংশ। জনসংখ্যা দেশটির লোকসংখ্যা ৮ লাখ ৬৮ হাজার। এতে ৫১ শতাংশ হলো ফিজি জাতি। ৪৪ শতাংশ হলো ভারতীয় জাতি। সংস্কৃতি সরকারি ভাষা হলো ইংরেজ ও ফিজি ভাষা। ভ্যাটিকান সিটি বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ফিজি বিষয়শ্রেণী:ওশেনিয়া বিষয়শ্রেণী:পলিনেশিয়া বিষয়শ্রেণী:মেলানেশিয়া বিষয়শ্রেণী:কমনওয়েলথ প্রজাতন্ত্র
ফিজি
REDIRECT টোঙ্গা
টোঙ্গার ভূগোল
শাহ মুহাম্মদ সগীর আনুমানিক ১৩-১৪ শতকের কবি। বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে তিনিই প্রাচীনতম। তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ এর রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪১১ খ্রিষ্টাব্দে) ইউসুফ-জোলেখা কাব্য রচনা করেন। কবি ছিলেন গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজকর্মচারী। কাব্যরস পরিবেশন অপেক্ষা ধর্মীয় প্রেরণা সৃষ্টির প্রতিই কবির অধিক আগ্রহ লক্ষ করা যায়। সে যুগে দেশি ভাষার রসাশ্রয়ী ধর্মকাহিনি রচনা করার মধ্যে কবির সৎসাহসের পরিচয় মেলে। বাইবেল-কুরআন কিংবা ফেরদৌসী-জামীর অনুসরণে কাহিনী-কাব্যটি কল্পিত হলেও তাতে বাংলাদেশ ও বাঙালি-জীবনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। কাব্যটি পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দশকে রচনা করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। তাঁর কাব্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কতিপয় শব্দের ব্যবহার লক্ষ করে ড. মুহম্মদ এনামুল হক তাঁকে চট্টগ্রামের অধিবাসী বলে বিবেচনা করেছেন। তিনি কাব্যচর্চায় সুলতান গিয়াসউদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন। তাঁর কাব্যে ধর্মীয় পটভূমি থাকলেও তা হয়ে উঠেছে মানবিক প্রেমোপাখ্যান। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাঙালি কবি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী কবি বিষয়শ্রেণী:মধ্যযুগের কবি বিষয়শ্রেণী:চট্টগ্রাম জেলার কবি
শাহ মুহম্মদ সগীর
ভয়স অফ অ্যামেরিকা (ইংরেজি: Voice of America, সংক্ষেপে VOA) যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী আন্তর্জাতিক রেডিও এবং টেলিভিশন ব্রডকাস্টিং সার্ভিস। এই সার্ভিস পৃথিবীর অন্যান্য ব্রডকাস্টিং সার্ভিস যেমন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস, ডয়চে ভেলে, রেডিও নেদার্ল্যান্ডস, রেডিও ফ্রান্স ইন্টার্ন্যাশনাল, ভয়স অফ রাশিয়া ও রেডিও কানাডা (যা কানাডা ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন) ইন্টারন্যাশনালের মতই। বিভিন্ন ভাষায় ভিওএ ভিওএ অনেক ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে: ভিওএ বাংলা ভিওএ বাংলা হচ্ছে ভয়স অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগ। ভিওএ নিউজ চ্যানেলে দেখায় আমেরিকায়। এর প্রোগ্রামগুলি অনলাইনও দেখা যায় এদের ওয়েবসাইটে। এর একটি টি.ভি প্রোগ্রাম আছে; তার নাম ওয়াশিংটন বার্তা। এর রেডিয়ও প্রোগ্রামের নাম হ্যালো, ওয়াশিংটন আর সাক্ষাৎকার। এই প্রোগ্রামগুলি ওয়াশিংটন, ডি.সি. থেকে ব্রডকাস্ট হয়। ভিওএ বাংলা'র স্টাফের নাম: ইকবাল বাহার চৌধুরী, বাংলা সার্ভিসের চীফ (সাবেক) রোকেয়া হায়দার, প্রধান, বাংলা বিভাগ। সরকার কবীরূদ্দীন, ম্যানেজিং এডিটার তাহিরা কিবরিয়া, ব্রডকাস্টার আনিস আহমেদ, ব্রডকাস্টার অসিম পি. চক্রবত্রি, ব্রডকাস্টার শামীম চৌধুরী, ব্রডকাস্টার ডেলোরিস এ. ডেভিস, প্রডিউসার মাসুমা খাটুন, ব্রডকাস্টার দিলারা হাশেম, ব্রডকাস্টার আহসানুল হক, ব্রডকাস্টার শাগুফতা নাসরিন কুইন, ব্রডকাস্টার জাউর সৈয়দ রহমান, ব্রডকাস্টার কবিরুদ্দিন সরকার, ব্রডকাস্টার নাসরিন হুদা বিথি, ঢাকা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ভিওএ-এর ওয়েবসাইট ভয়স অ্যামেরিকা বাংলা'র ওয়েবসাইট - এর রেডিও আর টি.ভি ব্রডকাস্টগুলি আছে ভয়স অফ অ্যামেরিকা'র ওয়েবসাইট বর্তমান ভাষা ভয়েস অফ আমেরিকা ওয়েবসাইটটিতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি ইংরেজি ভাষার সম্প্রচার ছিল (বিশ্বব্যাপী, বিশেষ ইংরেজি, কম্বোডিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং তিব্বত )। অধিকন্তু, ভিওএ ওয়েবসাইটটিতে ৪৬ টিরও বিদেশী ভাষায় সংস্করণ রয়েছে । (রেডিও প্রোগ্রামগুলি একটি তারকাচিহ্নের সাথে চিহ্নিত করা হয়; টিভি প্রোগ্রামগুলি আরও একটি + চিহ্ন সহ) আফান অরোমো * আলবেনিয়ান * + আমহারিক * আর্মেনিয়ান + আজারবাইজানীয় + বাম্বারা * বাংলা * + বসনিয়ান + বার্মিজ * + ক্যান্টনিজ * + ম্যান্ডারিন * + দারি ফার্সি * + ফিলিপিনো * ফরাসি * + জর্জিয়ান * হাইতিয়ান ক্রিওল * হাউসা * ইন্দোনেশিয়ান * + খেমার * + কিনারওয়ান্ডা * কিরুন্দি * কোরিয়ান * কুর্দি * লাও * লিঙ্গালা * ম্যাসেডোনিয়া + নেদেবেলে * পশতু + পার্সিয়ান * + পর্তুগিজ * রোহিঙ্গা * রাশিয়ান + সাঙ্গো * সার্বিয়ান + শোনা * সোমালি * স্প্যানিশ * + সোয়াহিলি * থাই * তিব্বতি * + টাইগ্রিনা * তুর্কি + ইউক্রেনীয় + উর্দু * + উজবেক * + ভিয়েতনামী * + উওলোফ ইংরেজি * + ইতিহাস আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ভিওএ ভিওএ বাংলা বিষয়শ্রেণী:বাংলায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিষয়শ্রেণী:পিবডি পুরস্কার বিজয়ী
ভয়েস অব আমেরিকা
__NOTOC__ ১১৪ (CXIV) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি রবিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর হাস্তা ও ভপিস্কাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৬৭ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ১১৪ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরণের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১১৪
১১৪
__NOTOC__ ১২৪ (CXXIV) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ যেটি শুক্রবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর গ্লাব্রিও ও ফ্লাক্কুস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৭৭ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ১২৪ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরণের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১২৪
১২৪
__NOTOC__ ১৩৪ (CXXXIV) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর যেটি বৃহস্পতিবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর উরসুস ও ভারুস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৮৭ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ১৩৪ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরণের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৩৪
১৩৪
__NOTOC__ ১৪৪ (CXLIV) জুলিয়ান বর্ষপঞ্জীর একটি অধিবর্ষ যেটি মঙ্গলবার দিয়ে শুরু। সেই সময়ে এই বছর রুফুস ও ম্যাক্সিমাস-এর কন্সালশীপের বছর বলে পরিচিত ছিল (বা, কম প্রচলিত, আব উরবে ক্যন্দিতার ৮৯৭ বছর; রোম প্রতিষ্ঠার বছর)। এই বছরকে ১৪৪ বলে আখ্যায়িত করা হয় শুরুর দিকের মধ্যযুগীয় কাল থেকে, যখন ইউরোপে কমন এরা এবং অ্যানো ডোমিনি বছরের নামকরণের জন্য প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে উঠে। ঘটনাবলী এলাকা অনুসারে বিষয় অনুসারে জন্ম মৃত্যু তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৪৪
১৪৪
লিমা (স্পেনীয় Lima) দক্ষিণ আমেরিকার রাষ্ট্র পেরুর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি দেশটির সংস্কৃতি, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ও শিল্পখাতের প্রধান কেন্দ্র। লিমা পেরুর পশ্চিমভাগে দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলের মাঝামাঝি অবস্থানে, উপকূল থেকে ১৩ কিলোমিটার ভেতরে, আন্দেস পর্বতমালার কাছে, একটি মরুময় অঞ্চলের কেন্দ্রভাগে অবস্থিত। বৃহত্তর লিমা মহানগর এলাকাটি চতুর্দিকে বহুদূর পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে প্রসারিত বলে এর ডাকনাম দেওয়া হয়েছে এল পুলপো (অর্থাৎ অক্টোপাস)। মূল লিমা শহরের আয়তন ১০০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি। বৃহত্তর লিমা মহানগরীর জনসংখ্যা ১ কোটির বেশি; এটি একটি অতিমহানগরী। বৃহত্তর লিমা এলাকাতে কাইয়াও নামের একটি সামুদ্রিক বন্দর আছে, যেটি প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত। কাইয়াও পেরুর ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর। যদিও লিমা শহরটি ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অবস্থিত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় শীতল পেরু সমুদ্রস্রোতের সুবাদে এর জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। লিমা নগরীর ঐতিহাসিক কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ ও রোমান ক্যাথলিক মন্ডলীর একটি মহাগির্জা বা ক্যাথেড্রাল আছে, যার নির্মাণকাজ ১৬শ শতকে শুরু হয়। আরও আছে ১৫৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত সান মার্কোস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। লিমাতে পেরুর সব প্রধান সরকারী কার্যালয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির সদর দফতর ও ব্যাংক অবস্থিত। লিমাতে অনেক শিল্পকারখানা আছে যেগুলিতে তেল, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, ঔষধ, খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক, পোশাক ও অন্যান্য পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করা হয়। লিমা এলাকায় বহু হাজার বছর আগেই একটি লোকালয় ছিল। প্রায় ১৫০০ বছর আগে এখানে পাচাকামাক নামের একটি স্থানীয় দেবতাকে উপাসনা করার কেন্দ্র ছিল। ১৪শ শতকে ইনকা জাতির লোকেরা অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। স্পেনীয় দখলদার ফ্রান্সিসকো পিসাররো ১৫৩৫ সালে এখানে একটি ঔপনিবেশিক শহর প্রতিষ্ঠা করেন ও এর নাম দেওয়া হয় "সিউদাদ দে লোস রেইয়েস"; পরে এর নাম বদলে লিমা রাখা হয়। লিমা নামটি স্থানীয় কেচুয়া ভাষার শন্দ "লিমাক" থেকে এসেছে, যার অর্থ "বক্তা"। নিকটবর্তী কাইয়াও বন্দরটি এই অঞ্চলে স্পেনের প্রধান বন্দরে পরিণত হয়। প্রায় ২০০ বছর লিমা ছিল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে সমস্ত স্পেনীয় উপনিবেশগুলির রাজধানী। ১৭৪৬ সালে একটি ভূমিকম্পে লিমা প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পরবর্তীতে শহরটিকে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। ১৮১২ সালে পেরু স্বাধীনতা লাভ করলে লিমা স্বাধীন পেরুউ রাষ্ট্রের রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯শ শতকে লিমার কলেবর বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ২০শ শতকে শহরের জনসংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পায়; বর্তমানে পেরুর এক-চতুর্থাংশ জনগণই লিমা মহানগর এলাকাতে বাস করে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পেরুর শহর বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ আমেরিকার রাজধানী
লিমা
টুভালু (Tuvalu) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র। এটি হাওয়াইয়ের প্রায় ৪২০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের প্রায় ৩৪০০ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। টুভালুর নিকটতম প্রতিবেশী ফিজি দ্বীপপুঞ্জ প্রায় ১০৫০ কিমি দক্ষিণে এবং দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় একই দূরত্বে সামোয়া অবস্থিত। টুভালু পূর্বে এলিস দ্বীপপুঞ্জ (Ellice Islands) নামে পরিচিত ছিল। এটি ব্রিটিশ গিলবার্ট ও এলিস দ্বীপপুঞ্জ উপনিবেশের অংশ ছিল। ১৯৭৫ সালে এটি গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ (বর্তমান কিরিবাস) থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। টুভালু কমনওয়েলথ অভ নেশনসের সদস্য। ফুনাফুতি অ্যাটলটি টুভালুর রাজধানী। ইতিহাস ১৮১৯ সালে ক্যাপ্টেন আরেন ডি পেইস্টার ভালপারাইসো থেকে ভারতে আসার পথে ফুনাফুটি আবিষ্কার করেন যেখানে এখন টুভালুর রাজধানী অবস্থিত। ফুনাফুটি প্রায় ১৪টি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। ডি পেইস্টার ব্রিটিশ আইনসভার সদস্য এডওয়ার্ড এলিসের নামে এই দ্বীপসমষ্টির নামকরণ করেন এলিসেস গ্রুপ। এলিসই ডি পেইস্টারকে জাহাজ জোগাড় করে দিয়েছিলেন যার নাম ছিল রেবেকা। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযাত্রী দলের প্রধান চার্লস উইলকিস টুভালুর তিনটি দ্বীপে ভ্রমণ করেন এবং সেখানকার আগ্রহী পর্যটকদের স্বাগতম জানান। এরপর অনেকদিন পর্যন্তই টুভালুর সাথে বহির্বিশ্বের অন্য কোন দেশের তেমন যোগাযোগ হয়নি। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে যখন প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে বিভিন্ন দেশের অধিকারগত বিভাজন আসে তখন স্বাভাবিকভাবেই টুভালু ও পার্শ্ববর্তী দ্বীপাঞ্চলসমূহ যুক্তরাজ্যের অধিকারে আসে। ইংরেজরা ১৮৯২ সাল থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত এলিস দ্বীপপুঞ্জকে একটি প্রোটেক্টোরেট হিসেবে শাসন করে এবং এর পরে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিল গিলবার্ট এবং এলিস দ্বীপপুঞ্জ কলোনির একটি অংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই দ্বীপগুলোতে হাজার হাজার মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করা ছিলো। ১৯৪২ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে মার্কিন বাহিনী ফুনাফুটি, নানুমিয়া এবং নুকুফেটাউ নামক দ্বীপগুলোতে বিমান ঘাঁটি স্থাপন করে। ১৯৭৪ সালে টুভালুর অধিবাসীরা ইংরেজদের অধীনে একটি পৃথক রাষ্ট্রের সম্মানলাভের জন্য ভোট দেয়। তাদের দাবী ছিল গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ, যা স্বাধীনতা পাবার পর কিরিবাতি নামে পরিচিত হয়ে আসছিল, থেকে টুভালুকে পৃথক করে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা হোক। এই পৃথকীকরণ শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়েছিলো। কিন্তু টুভালু পূর্ণ স্বাধীনতা পায় ১৯৭৮ সালে। ১৯৭৯ সালে টুভালু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরুপ একটি চুক্তি সম্পাদন করে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ৪টি দ্বীপ টুভালুর অধীনে ছেড়ে দেয় এবং সেগুলোর উপর টুভালুর প্রকৃত অধীকার মেনে নেয়। ২০০২ সালের জুলাই মাসে টুভালুতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং মুক্তভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ১৫ জন আইনসভার সদস্য হন যাদের মধ্যে ৫জনই ছিলেন সম্পূর্ণ নতুন। একই বছরের আগস্ট মাসে সাউফাটু সোপোআংগা দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। রাজনীতি প্রতিরক্ষা প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ thumb|250px|right|তুভালুর মানচিত্র টুভ্যালুর অল্প সংখ্যক জনগণ ৮টি দ্বীপে বিভক্ত হয়ে আছে, যার ৫টিই হলো এটোল। ক্ষুদ্রতম দ্বীপ নিউলাকিতায় (Niulakita) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত কোনো মনুষ্যবসতি ছিলো না; ঐ সময় নিউতাও (Niutao) থেকে লোক গিয়ে সেখানে বসত শুরু করে। যেসকল স্থানীয় প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ একাধিক দ্বীপ মিলিয়ে বিরাজ করে: ফুনাফুটি (Funafuti) নানুমে (Nanumea) নুই (Nui) নুকুফেতাউ (Nukufetau) নুকুলেলে (Nukulaelae) ভাইটুপু (Vaitupu) যেসকল স্থানীয় প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ একটি দ্বীপে বিরাজ করে: নানুমাংগা (Nanumanga) নিউলাকিতা (Niulakita) নিউতাও (Niutao) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভূগোল অর্থনীতি জনসংখ্যা ২০১২ এর আদমশুমারি অনুসারে টুভালুর জনস্ংখ্যা ১০,৬৪০ সংস্কৃতি ঐতিহ্য কুইযিন ভাষা খেলাধুলা ও অবসর বিনোদন সংগীত যাতায়াত ব্যবস্থা শিক্ষা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে উঁচু জায়গার হিসাব করলেও, টুভ্যালু, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪.৫ মিটার উঁচু, এবং দেশটির কর্তাব্যক্তিরা কয়েক বছর ধরে বেশ সচেতন যে, তাদের দেশ, উচ্চতা বাড়তে থাকা সমুদ্রের শিকার হতে পারে। ২০০৯-এর ডিসেম্বরে কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনে টুভ্যালুর একজন আলোচক আয়ান ফ্রাই (Ian Fry) চূড়ান্ত প্রতিবেদনের একজন শক্তিশালী প্রতিবাদকারী ছিলেন, তিনি বলেছিলেন "ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছে আমাদেরকে থার্টি পীস অফ সিলভার সাধা হচ্ছে, যেন আমরা আমাদের জনগণ আর ভবিষ্যতের সাথে প্রতারণা করি।" আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ওশেনিয়া বিষয়শ্রেণী:রাষ্ট্র
টুভালু
কাবু ভের্দি (পর্তুগিজ: Cabo Verde কাবু ভ়ের্দ্যি – আ-ধ্ব-ব:['kabu 'veɾdɨ]) আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূলের নিকটে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের ম্যাক্রোনেশিয়া বাস্তু-অঞ্চলের দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্ভুক্ত। পঞ্চদশ শতকে পর্তুগিজরা এই দ্বীপ আবিষ্কার করে বসতি স্থাপন করে। এর আগে এখানে কোন মানব বসতি ছিল না। ইতিহাস ১৪৬০ সালে পর্তুগিজদের আগমনের পূর্বে কাবু ভের্দিতে কোন মানব বসতি ছিলনা। তারা ১৪৬০ সালে এই দ্বীপটিকে তাদের সাম্রাজ্যের অধীনে আনে। অবস্থানগত দিক থেকে আফ্রিকার উপকূলে হবার কারণে কাবু ভের্দি প্রথমে একটি গুরুত্বপূর্ণ পানি সরবরাহ কেন্দ্র, চিনি উ‍‌ৎপাদন কেন্দ্র এবং পরবর্তীতে দাস ব্যাবসায়ের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৯৭৫ সালে পর্তুগালের সাথে গিনি-বিসাউ জঙ্গলে দীর্ঘ এক সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে কাবু ভের্দি। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মূলত "দ্য আফ্রিকান পার্টি ফর দা ইন্ডিপেন্ডেন্স অভ গিনি-বিসাউ অ্যান্ড কাবু ভের্দি" এর অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল। স্বাধীনতার পর "আফ্রিকান পার্টি ফর দা ইন্ডিপেন্ডেন্স অভ গিনি-বিসাউ অ্যান্ড কাবু ভের্দি" গিনি-বিসাউ ও কেপ ভের্দকে একত্রিত করে একটি দেশে পরিণত করবার চেষ্টা করে যেহেতু তারা নিজেরাই দুইটি অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণ করছিলো। ১৯৮০ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে এই পরিকল্পনা ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আফ্রিকান পার্টি ফর দ্য ইন্ডিপেনডেন্স অফ কেপ ভের্দি সৃষ্টি হয়। ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে এই দলের শাসনের অবসান ঘটে। এই নির্বাচনে 'মুভিমেন্তো প্যারা অ‍্যা ডেমক্রাসিয়া জয় লাভ করে। এরা ১৯৯৬ সালে আবার নির্বাচিত হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার ২০০১ সালে আফ্রিকান পার্টি ফর দ্য ইন্ডিপেনডেন্স অফ কেপ ভের্দি নির্বাচিত হয়, ২০০৬ সালে এইদল আবার নির্বাচিত হয়। রাজনীতি প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ পূর্ব আফ্রিকার ১৫.০২(দ) ২৩.৩৪(পূ) এ কেপ ভের্দ দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত । ১০টি বড় দ্বীপ এবং ৮টি ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে কাবু ভের্দি গঠিত। প্রধান দ্বীপগুলো হলোঃ বার্লাভেন্তো (দক্ষিণ দ্বীপগুলোর মধ্যে) সান্টো আন্টাও সাও ভিসেন্টে সান্টা লুজিয়া সাও নিকোলাউ সাল বোয়া ভিস্তা সোতাভেন্তো মাইয়ো সান্টিয়াগো ফগো ব্র্রভা এর মধ্যে শুধুমাত্র সান্টা লুজিয়া এবং আর ৫ টি জনশূন্য। বর্তমানে এগুলোকে প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সবগুলো দ্বীপে আগ্নেয়গিরি থাকলেও শুধু মাত্র ফোগোতেই অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। ইতিহাস রাজনীতি প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল অর্থনীতি জনসংখ্যা সংস্কৃতি সামরিক বাহিনী কাবু ভের্দির সামরিক বাহিনী স্থলবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে গঠিত। ২০০৫ সালে সামরিক বাহিনীর জন্য প্রায় ৮৪,৬৪১ জন লভ্য ছিল। এদের মধ্যে শারীরিকভাবে সক্ষম ছিল ৬৫,৬১৪ জন। কেপ ভের্দি সামরিক খাতে বাৎসরিক ৭.১৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করে, যা মোট জাতীয় উৎপাদনের ০.৭%। আরও দেখুন টীকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ সরকারী কেপ ভার্দর সরকার কেপ ভার্দর জাতীয় বিধানসভা কেপ ভার্দর রাষ্ট্রপতির সরকারি ওয়েবসাইট রাষ্ট্র প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ সদসবৃন্দ সাধারণ তথ্য জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা Cape Verde from State.gov Country Profile from BBC News Cape Verde Encyclopaedia Britannica entry Cape Verde from UCB Libraries GovPubs Demographic Highlights Statistics from the Population Reference Bureau বিষয়শ্রেণী:আফ্রিকার রাষ্ট্র
কাবু ভের্দি
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির প্রায় ৭০ ভাগ সেবা খাত থেকে হয়। তবে রপ্তানির সিংহভাগ খনন শিল্প ও কৃষিখাত থেকে আসে। অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার নাম হল অস্ট্রেলীয় ডলার। চিহ্ন হল AU$, $AU, AUD, $A। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও এই মুদ্রা ব্যবহার হয় ক্রিস্টমাস আইল্যান্ড, কোকোস আইল্যান্ড, নোরফল্ক আইল্যান্ড। এছাড়াও স্বাধীন প্যাসিফিক আইল্যান্ড স্টেট কিরিবাটি, নাওরু এবং তুবালুর মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহৃত হয় অস্ট্রেলীয় ডলার। অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ হল অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে বড় স্টক এক্সচেঞ্জ। ইতিহাস কর ব্যবস্থা স্টেট কর ব্যবস্থা পৌর কর ব্যবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতি তথ্য সূত্র বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়া বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী অর্থনীতি বিষয়শ্রেণী:ওশেনিয়ার অর্থনীতি
অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি
right|thumb|300px|জনসংখ্যার ঘণত্ব অনুসারে নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকা নিউজিল্যান্ডে প্রায় ৪২ লক্ষ লোকের বাস। এদের মধ্যে প্রায় ৭৩% লোক ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। ১৩% আদিবাসী মাওরি জাতির লোক। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৮% লোক এশীয় (মূলত পূর্ব এশীয়) এবং ৬% লোক প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলির বিভিন্ন জাতির লোক। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:নিউজিল্যান্ড বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী জনপরিসংখ্যান বিষয়শ্রেণী:ওশেনিয়ার জনপরিসংখ্যান
নিউজিল্যান্ডের জনপরিসংখ্যান
পাপুয়া নিউগিনির ভাষা-র সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৮২০। এত ক্ষুদ্র এলাকায় এতগুলি ভাষার সহাবস্থান পাপুয়া নিউগিনিকে ভাষাগতভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র‌্যময় স্থানের মর্যাদা দিয়েছে। ভাষাগুলি মূলত অস্ট্রোনেশীয় পরিবারের কিংবা পাপুয়ার নিজস্ব ভাষা। পাপুয়ার নিজস্ব ভাষাগুলির সাথে অস্ট্রোনেশীয় ভাষা এবং অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী ভাষাগুলির কোন মিল নেই। এগুলিকে কখনও কখনও পাপুয়ান ভাষা বলা হয়, তবে এই নামটি দিয়ে কোন ভাষা পরিবার নির্দেশ করা হয় না। টোক পিসিন, ইংরেজি এবং হিরি মোতু এই দেশের সরকারি ভাষা। টোক পিসিন একটি ইংরেজি-ভিত্তিক ক্রেওল ভাষা; এটিই দেশটির সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ভাষা এবং সার্বজনীন ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া অন্য দুটি ভাষাও পাপুয়া নিউগিনিতে প্রায় সমান জনপ্রিয়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ওশেনিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভাষা বিষয়শ্রেণী:পাপুয়া নিউ গিনির সংস্কৃতি
পাপুয়া নিউগিনির ভাষা
thumb|right|300px|ইরানের ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র সৌদি আরবের পর ইরান মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। দেশটির মোট আয়তন ১,৬৪৮,০০০ বর্গকিলোমিটার। দেশটি মোটামুটি ত্রিভুজাকৃতির, যার দীর্ঘতম বাহু প্রায় ২,৫০০ কিমি দীর্ঘ এবং যা উত্তর-পশ্চিমে তুরষ্কের সাথে সীমান্তে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তান সীমান্তে এসে শেষ হয়েছে। ত্রিভুজের তৃতীয় শীর্ষটি উত্তর পূর্বে ইরানের সাথে তুর্কমেনিস্তানের সীমানার মাঝামাঝি অবস্থিত। উত্তর-দক্ষিণে ইরানের সর্বোচ্চ বিস্তার ১,৬০০ কিমি, আর পূর্ব-পশ্চিমে ১,৭০০ কিমি। প্রাকৃতিক অঞ্চলসমূহ ইরানের অভ্যন্তরীণ মালভূমিগুলি প্রায় সম্পূর্ণরূপে পর্বতবেষ্টিত। জগ্রোস পর্বতমালা প্রধান পর্বতমালা এবং এটি দেশটির ভেতরে দিয়ে উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ১,৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্য জুড়ে বিস্তৃত। পারস্য উপসাগরের উত্তর উপকূলের খোঁজেস্তন ছাড়া পশ্চিম ইরানের প্রায় পুরোটাই জগ্রোস পর্বতমালায় গঠিত। পর্বতমালাটির মধ্য অংশ প্রস্থে প্রায় ৩৪০ কিমি চওড়া। এর অধিকাংশ চূড়া ৪,০০০ মিটারেরও অধিক উচ্চতাবিশিষ্ট। এদের মধ্যে ৪,৫৪৭ মিটার উঁচু জার্দ কুহ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। ২,৩০০ মিটারের চেয়ে উঁচু শৃঙ্গগুলিতে অনেক পানি জমা হয় এবং এগুলি নিচের উপত্যকায় ভূ-গর্ভস্থ পানি আকারে নেমে আসে। এই উপত্যকাগুলি সমুদ্রতল থেকে ১২০০ থেকে ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত হলেও যথেষ্ট উর্বর এবং এগুলিতে বিভিন্ন ধরনের শস্যের আবাদ করা হয়। ইরানের উত্তর প্রান্তে একটি খাড়া, সরু পর্বতমালা কাস্পিয়ান সাগরের পুরো দক্ষিণ তীর জুড়ে অবস্থিত; এর নাম আলবুরজ পর্বতমালা। এই পর্বতমালাটি প্রায় ৬০০ কিমি দীর্ঘ এবং এর গড় প্রস্থ প্রায় ১০০ কিমি। ইরানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ দামভান্দ (৫,৬৭০ মি) এই পর্বতমালার মধ্যভাগে অবস্থিত। আলবোর্জের আরও অনেকগুলি চূড়া ৩,৬০০ মিটার ছাড়িয়ে গেছে। এই পর্বতমালার উত্তর ঢালের অরণ্যে সারা বছর ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এই পর্বতমালা ও কাস্পিয়ান সাগরের অন্তর্বর্তী স্থানে গড়ে ২৪ কিমি প্রস্থবিশিষ্ট একটি উর্বর সমভূমি আছে। আলবোর্জ পর্বতমালার পূর্বে সমান্তরাল কতগুলি পর্বতমালা রয়েছে, যেগুলি ২৪০০ থেকে ২৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই পর্বতমালাগুলির মাঝে অনেক সরু, আবাদী উপত্যকা আছে। ইরানের পূর্ব সীমান্ত ধরে অনেকগুলি অপেক্ষাকৃত নিম্ন উচ্চতার শৈলশিরা চলে গেছে; এদেরকে একত্রে পূর্বের উঁচু অঞ্চল নামে ডাকা হয়। এই পর্বতমালার বেষ্টনীর মাঝের নিচু এলাকাকে একত্রে কেন্দ্রীয় মালভূমি নামে ডাকা হয়। এদের মধ্যে আছে মধ্য-উত্তর ইরানের দাশ্‌তে কাভির নামের একটি বিরাট লবণাক্ত মরুভূমি, দক্ষিণ-পূর্বের দাশ্‌তে লুত নামের নুড়ি ও বালির মরুভূমি এবং একাধিক উর্বর মরূদ্যান। ইরানের পর্বতগুলি একটি সক্রিয় ভূমিকম্প এলাকার উপর অবস্থিত, এবং প্রতি বছর এখানে বহু ছোট আকারের ভূমিকম্প হয়। বড় আকারের ভূমিকম্প কিছুদিন পর পরই ঘটে এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৮শ শতকে ভূমিকম্পের কারণে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহর দুইবার মাটিতে মিশে যায় এবং প্রতিবার প্রায় ৪০,০০০ করে লোক মারা যায়। ২০শ শতকের মধ্যভাগ থেকে দেশটিতে অনেকগুলি বড় আকারের ভূমিকম্প ঘটেছে যাতে হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। ১৯৯০ সালের জুনে আলবোর্জ ও জগ্রোসের মিলনস্থলে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৩৭,০০০ লোক মারা যান। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ ইরানে এক ভূমিকম্পে প্রাচীন নগরী বামের অধিকাংশ ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ৩০,০০০ লোক মারা যান। ইরানের অনেকগুলি পর্বত আগ্নেয়। এদের মধ্যে কেবল দামভান্দ পর্বত ও দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের কুহে তাফতান সক্রিয় আগ্নেয়গিরি; এদের চূড়ার কাছে কিছু সময় পর পর গ্যাস নিঃসরিত হয়। আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:ইরান বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার ভূগোল
ইরানের ভূগোল
right|thumb|220px|মহাকাশের উপগ্রহ থেকে তোলা বাংলাদেশের আলোকচিত্র দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম দুটি নদী - গঙ্গা আর ব্রহ্মপুত্র যেখানে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে সেখানেই কালের পরিক্রমায় গড়ে ওঠা বঙ্গীয় ব-দ্বীপ। এই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র মোহনা অঞ্চলে প্রায় ৩০০০ বছর বা তারও পূর্ব থেকে যে জনগোষ্ঠীর বসবাস, তা-ই ইতিহাসের নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে এসে দাড়িয়েছে বর্তমানের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ রূপে।ভৌগোলিক বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায়, ভারত ও মিয়ানমারের মাঝখানে। এর ভূখন্ড ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর, আর পূর্ব জুড়ে রয়েছে ভারত। পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় রাজ্য। পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম। তবে পূর্বে ভারত ছাড়াও মিয়ানমারের (বার্মা) সাথে সীমান্ত রয়েছে। দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশের স্থল সীমান্তরেখার দৈর্ঘ্য ৪,২৪৬ কিলোমিটার যার ৯৪ শতাংশ (৯৪%) ভারতের সাথে এবং বাকী ৬ শতাংশ মিয়ানমারের সাথে। বাংলাদেশের তটরেখার দৈর্ঘ্য' ৫৮০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকতগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা সমূদ্র সমতল হতে মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সমূদ্র সমতল মাত্র ১ মিটার বৃদ্ধি পেলেই এদেশের ১০% এলাকা নিমজ্জিত হবে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের উচ্চতম স্থান দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এর মোডক পর্বত, যার উচ্চতা ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ ফুট)। বঙ্গোপসাগর উপকূলে অনেকটা অংশ জুড়ে সুন্দরবন অবস্থিত, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিন সহ নানা ধরনের প্রাণীর বাস। ১৯৯৭ সালে এই এলাকাকে বিলুপ্তির সম্মুখীন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে-গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। বছরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৫০০-২৫০০মি.মি./৬০-১০০ইঞ্চি; পূর্ব সীমান্তে এই মাত্রা ৩৭৫০ মি.মি./১৫০ইঞ্চির বেশি। বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ২৫o সেলসিয়াস। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করেছে। এখানকার আবহাওয়াতে নিরক্ষিয় প্রভাব দেখা যায়। নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্ম কাল চলে। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্নিঝড়, টর্নেডো, ও জলোচ্ছাস প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশে আঘাত হানে। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার ভূগোল বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ভূগোল
বাংলাদেশের ভূগোল
REDIRECT ইন্দোনেশিয়া#রাজনীতি
ইন্দোনেশিয়ার রাজনীতি
পূর্ব তিমুর (তেতুম ভাষায়: Timór Lorosa'e তিমোর্‌ লোরোসা'এ, পর্তুগিজ ভাষায়: Timor-Leste তিমোর্‌ ল্যেশ্ত্যি আ-ধ্ব-ব: [ti'moɾ 'lɛʃtɨ]) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এটি কখনো কখনো পূর্ব টিমোর নামেও উচ্চারিত হয়। তিমুর দ্বীপের পূর্ব অর্ধাংশ নিয়ে এটি গঠিত। এর উত্তরে ওয়েটার প্রণালী এবং দক্ষিণে তিমুর সাগর। দ্বীপের পশ্চিম অংশ ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা তেঙ্গাররা প্রদেশের অন্তর্গত। ১৬শ শতকের শুরু থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত পূর্ব তিমুর একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। ইন্দোনেশিয়া ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এটিকে একটি প্রদেশ হিসেবে দাবী করে। ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পূর্ব তিমুরের জনগণ একটি গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেয়। পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের আগ পর্যন্ত এটিকে জাতিসংঘের অধীনে রাখা হয়। ২০০২ সালের ২০ মে ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং এটি একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। এর নাম রাখা হয় República Democrática de Timor-Leste বা গণপ্রজাতন্ত্রী পূর্ব তিমুর। উত্তর উপকূলে অবস্থিত বন্দর শহর দিলি দেশটির রাজধানী। ইতিহাস ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এ দ্বীপটি পর্তুগাল এর একটি উপনিবেশ ছিলো। ১৯৭৫ সালে ইন্দোনেশিয়া এ দ্বীপটি দখল করে নেয়।সেই থেকে দ্বীপটি তে চরম সহিংসতা উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছিলো।অবশেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্ট জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা প্রশ্নের গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং গণভোটে ৭৮.৫% ভোট স্বাধীনতার পক্ষে যায়। ১৪ এপ্রিল ২০০২ রাষ্ট্রপতি নিরবাচনে বিজয়ী আলেকজান্ডার হোসে জানানা গুসামাও রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেয়। ২০০১ এর ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত প্রথম সংসদীয় নির্বাচনে স্বাধীনতাকামী দল ফ্রেটিলিন দেশটির আইন সভার ৮৮ আসনের ৫৫ টি আসনে জয়ী হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন আল কাতিরি। ভালো প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল অর্থনীতি জনসংখ্যা সংস্কৃতি আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার রাষ্ট্র‎
পূর্ব তিমুর
REDIRECT বাহরাইন#রাজনীতি
বাহরাইনের রাজনীতি
REDIRECT ইসরায়েল#সংস্কৃতি
ইসরায়েলের সংস্কৃতি
বিয়ে ও পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে বাবা-মারা সন্তানের বিয়ে ঠিক করতেন, কিন্তু এখন লোকেরা নিজেরাই বিয়ের আয়োজন করে। গড়ে পুরুষের ২৫ বছর বয়সে এবং মহিলারা ২৩ বছর বয়সে বিয়ে করে। সরকার পরিবার-পরিকল্পনা নীতির মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং দেরীতে বিয়ে ও ছোট পরিবারের জন্য ভর্তুকি প্রদান করছে। ভিয়েতনামে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে সাহায্য করে। গ্রামীণ এলাকায় একান্নবর্তী পরিবার একই বাড়িতে বাস করে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে ছোট পরিবার আলাদাভাবে বাস করে। গড়ে প্রতি পরিবারে সদস্যসংখ্যা ৬। খাদ্যাভ্যাস ভাত ভিয়েতনামীয়দের প্রধান খাদ্য। ভাতের সাথে এক ধরনের মাছের গাঁজানো সুরুয়া, যার নাম nuoc mam, ব্যবহার করা হয়। একই সুরুয়াতে অন্যান্য বিশেষ খাবার ডুবিয়ে খাওয়া হয়। আঞ্চলিক খাবার দাবারও সুপ্রচলিত। ভিয়েতনামীয়রা সুপ জাতীয় খাবার খেতে চামচ ব্যবহার করে এবং অন্যান্য খাবারের জন্য চপস্টিক্‌স ব্যবহার করে। সাধারণত টেবিলের মাঝখানে খাবার দেয়া থাকে এবং সেখান থেকে লোকেরা নিজের নিজের ভাতের বাটিতে খাবার নিয়ে নেয়। ভিয়েতনামীয়রা খাবার সময় সবসময় ভাতের বাটি এক হাতে ধরে রাখে। পানীয়ের মধ্যে চা, কফি ও বিয়ার জনপ্রিয়, তবে এগুলি খাবারের পরে পরিবেশন করা হয়। সামাজিকীকরণ ভিয়েতনামীয়রা সাধারণত সাক্ষাত ও বিদায়ের সময় করমর্দন করে থাকে। সম্মান দেখানোর জন্য করমর্দনে দুই হাত ব্যবহার এবং মাথা সামান্য ঝোঁকানোর রেওয়াজ আছে। গ্রামীণ এলাকায় বৃদ্ধ লোকেদের সামান্য মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান দেখানো হয়। মহিলারা সাধারণত করমর্দনের চেয়ে মাথা ঝোঁকাতে বেশি পছন্দ করে। ভিয়েতনামীয়দের নাম পারিবারিক নাম দিয়ে শুরু হয় এবং প্রদত্ত নামে শেষ হয়। লোকে একে অপরকে প্রদত্ত নামে ডেকে থাকে। তবে এর সাথে অনেক সময় পারিবারিক বা বয়সে ছোট-বড় বোঝাতে বিভিন্ন শিরোনাম, যেমন "বড় ভাই/দা" ইত্যাদি জাতীয় শিরোনাম যোগ করা হয়। ভিয়েতনামীয়রা একে অপরকে Xin chao বলে প্রাথমিক সম্ভাষণ জানিয়ে থাকে, যা বাংলায় সালাম-আদাব বা নমস্কারের মত। ভিয়েতনামীরা অতিথিপরায়ণ এবং অতিথিদের আসার আগে প্রস্তুতি নিতে পছন্দ করে। তাই নিমন্ত্রণ ছাড়া ভিয়েতনামী কারও বাসায় যাওয়া সাধারণত শোভন নয়। ভিয়েতনামীরা উপহার পেতে অপছন্দ করে না। ফুল, ধূপ বা চা সাধারণ উপহার হিসেবে প্রচলিত। ছোট ছেলেমেয়ে বা প্রবীণদের জন্যও ছোট উপহার নিয়ে যাওয়া যায়। বিনোদন ভিয়েতনামীয়রা ভলিবল, ফুটবল, ইত্যাদি দলগত খেলা পছন্দ করে। ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, সাঁতার এবং টেনিসও জনপ্রিয় খেলা। শহরাঞ্চলে অনেকে জগিং, তাই চি চুয়ান নামের ছায়ামুষ্টিযুদ্ধ, যোগব্যায়াম, ইত্যাদি করতে ভালবাসে। বিষয়শ্রেণী:ভিয়েতনামের সংস্কৃতি বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার সংস্কৃতি
ভিয়েতনামের সংস্কৃতি
thumb|right|টোকিও স্টেশনে শিনকানসেন, জাপানের দ্রুততম এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুত ট্রেন। জাপানের পরিবহন ব্যবস্থা অত্যাধুনিক এবং পরিবহন অবকাঠামো ব্যয়বহুল। জাপানে সড়ক নির্মাণে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। সমগ্র দেশব্যাপী বিস্তৃত ১.২ মিলিয়ন কিলোমিটারের পাকারাস্তা জাপানের প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা। জাপানের বামহাতি ট্রাফিক পদ্ধতি প্রচলিত। বড় শহরে যাতায়াতের জন্য নির্মিত সড়কসমূহ ব্যবহারের জন্য সাধারণত টোল নেয়া হয়। জাপানে বেশ কয়েকটি রেলওয়ে কোম্পানি রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। এসব রেল কোম্পানির মধ্যে জাপান রেলওয়েস গ্রুপ, কিনটেটসু কর্পোড়েশন, সেইবু রেলওয়ে, কেইও কর্পোরেশন উল্লেখযোগ্য। এসব কোম্পানি রেল পরিবহনকে আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে; যেমন- রেল স্টেশনে খুচরা দোকান স্থাপন। প্রায় ২৫০ কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত শিনকানসেন জাপানের প্রধান শহরগুলোকে সংযুক্ত করেছে। এছাড়া অন্যান্য রেল কোম্পানিও সময়ানুবর্তিতার জন্য সুপরিচিত। জাপানে ১৭৩টি বিমানবন্দর রয়েছে। সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হল হানেদা বিমানবন্দর, এটি এশিয়ার সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর। জাপানের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অন্যান্য বড় বিমানবন্দরের মধ্যে রয়েছে কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শুবু সেন্ট্রেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। জাপানের সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর হল নাগোয়া বন্দর। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Hyperdia - জাপানের পরিবহন ব্যবস্থা (ইংরেজি ও জাপানি) Toei Transportation Information - জাপানের রেল, সড়ক, বিমানবন্দর ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য জাপানের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহণ বিষয়শ্রেণী:জাপানের পরিবহন
জাপানের পরিবহন ব্যবস্থা
REDIRECT ইন্দোনেশিয়া#পর্যটন
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন
right|thumb|চীনের একটি সাংস্কৃতিক পর্যটনস্থল: সিয়ানের পোড়ামাটির সৈন্যদল right|thumb|রাজধানী পেইচিং তথা বেইজিংয়ে অবস্থিত নিষিদ্ধ নগরী একটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল বিগত দশকগুলিতে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর থেকে চীনের পর্যটন ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। চীনে একটি নব্য সচ্ছল মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আবির্ভাব এবং চীনের ভেতরে যাতায়াতের উপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ সরকার উঠিয়ে নেবার ফলে চীনদেশের আনাচে কানাচে ভ্রমণের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। শুধু তা-ই নয়ম, স্বচ্ছল চীনারা এখন দেশের বাইরেও বহির্বিশ্ব দেখার জন্য ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়ছেন। বিশ্বের সর্বত্র এখন চীনা পর্যটকদের দেখতে পাওয়া যায়। চীনের নিজস্ব পর্যটন ব্যবস্থাও পিছিয়ে নয়। বিশ্বে এর অবস্থান চতুর্থ। ২০০৭ সালে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বিদেশী পর্যটক চীনে বেড়াতে আসেন। ২০০৯ সালে পর্যটন খাত থেকে চীন প্রায় ১৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার ভাষ্যমতে ২০২০ সালে চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যটন ব্যবস্থা হবে বিশ্বের বৃহত্তম। আর চীনারা নিজেরা হবে চতুর্থ বৃহত্তম বিদেশ ভ্রমণকারী জাতি। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার পর্যটন বিষয়শ্রেণী:চীন বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী পর্যটন
চীনের পর্যটন
পুনর্নির্দেশ তুর্কমেনিস্তান
তুর্কমেনিস্তানের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান
REDIRECT কুয়েত#সামরিক বাহিনী
কুয়েতের সামরিক বাহিনী
thumb|350px|right|ছোংশাং মন্দির, চীনের ইউনান প্রদেশের তালি শহরে অবস্থিত একটি বৌদ্ধমন্দির শানধর্ম-থাওধর্ম বর্তমানে চীনের বৃহত্তম ধর্ম। চীনের ২০-৩০% লোক এই ধর্মগুলি পালন করেন। এদের মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি লোক, অর্থাৎ চীনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১% মাৎসু নামের দেবীর পূজা করে। বৌদ্ধধর্ম ২য় বৃহত্তম ধর্ম (১৮-২০% লোক)। দেশের ৩-৪% লোক খ্রিস্টান, ১-২% মুসলমান। চীনারা সাধারণত তাদের দেবদেবী ও ধর্মীয় নেতাদের বিশালাকার মূর্তি বানিয়ে থাকে। বিশ্বের সর্বোচ্চ ও সর্ববৃহৎ দেবমূর্তিগুলির অনেকগুলিই চীনে অবস্থিত। চীনের ৪০-৬০% লোক কোন ধর্মের অনুসারী নন। এরা বেশিরভাগই অজ্ঞাবাদের বিশ্বাসী। কট্টর নাস্তিকের সংখ্যা ১৪-১৫%। এগুলি ছাড়াও চীনদেশের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন স্থানীয় লোকধর্ম ও আচার। তথ্যসূত্র আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার ধর্মবিশ্বাস বিষয়শ্রেণী:চীন বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ধর্মবিশ্বাস
চীনের ধর্মবিশ্বাস
REDIRECT ইয়েমেন#ভাষা
ইয়েমেনের ভাষা
thumb|right|300px|চীনের জনঅধ্যুষিত পূর্বার্ধে প্রচলিত বিভিন্ন ভাষা thumb|right|300px|চীনে ম্যান্ডারিন ভাষাভাষীদের ভৌগোলিক অবস্থান; ম্যান্ডারিন ভাষাতে চীনের ৭০% লোক কথা বলে। ম্যান্ডারিন চীনা ভাষা চীনের সরকারি ভাষা; এতে চীনের প্রায় ৭০% লোক কথা বলেন। চীনা ভাষার অন্যান্য প্রচলিত কথ্যরূপগুলির মধ্যে আছে ইউয়ে ভাষা বা ক্যান্টোনীয় ভাষা (প্রায় ৪.৫% বক্তা), উ ভাষা (প্রায় ৭.৫% বক্তা), গান ভাষা (প্রায় ২% বক্তা), মিন নান ভাষা (প্রায় ২.৫% বক্তা), মিন পেই ভাষা (প্রায় ১.২% বক্তা), শিয়াং ভাষা (প্রায় ৩.৫% বক্তা) এবং হাক্কা ভাষা (প্রায় ২.৫% বক্তা)। এছাড়াও প্রায় ১৩০টি ভাষা চীনে প্রচলিত, যেগুলিতে চীনের প্রায় ৬.৫% জনগণ কথা বলেন। এদের মধ্যে ৫৫টি ভাষা সরকারীভাবে স্বীকৃত সংখ্যালঘু ভাষা। প্রাদেশিক সরকারি ভাষার মর্যাদাপ্রাপ্ত ভাষার মধ্যে আছে মঙ্গোল ভাষা (প্রায় অর্ধকোটি বক্তা), তিব্বতি ভাষা (প্রায় অর্ধকোটি বক্তা), উইগুর ভাষা (৭০ লক্ষের বেশি বক্তা), এবং চুয়াং ভাষা (প্রায় দেড় কোটি বক্তা)। আরও আছে য়ি ভাষা (অর্ধ কোটি বক্তা), মিয়াও ভাষা (অর্ধকোটি বক্তা), বুয়েই ভাষা (২০ লক্ষ বক্তা), কোরীয় ভাষা (২০ লক্ষ বক্তা), ইয়াও ভাষা (১0 লক্ষাধিক বক্তা), বাই ভাষা (প্রায় ১০ লক্ষ বক্তা), দং ভাষা (প্রায় ৩০ লক্ষ বক্তা) এবং হানি ভাষা (প্রায় ৫ লক্ষ বক্তা)। বহিঃসংযোগ চীনের ভাষার উপর এথ্‌নোলগ রিপোর্ট বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভাষা বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:চীন
চীনের ভাষা
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা ভাষা বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ভাষা তথা রাষ্ট্রভাষা ও জাতীয় ভাষা। প্রায় ৯৯% বাংলাদেশির মাতৃভাষা বাংলা। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ও বিশ্বের অন্যতম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭ অনুযায়ী, বৈদেশিক সম্পর্ক ব্যতীত অন্যান্য সকল সরকারি কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার আবশ্যিক করেছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র একভাষী রাষ্ট্র বলে বিবেচিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বসবাস করে এমন বাংলাদেশি আদিবাসীগণ তাদের নিজ নিজ ভাষা (যেমন চাকমা, মারমা ইত্যাদি) ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও বাংলাদেশে অঞ্চল ভেদে বাংলা ভাষার যথেষ্ট রূপভেদ লক্ষ্য করা যায়।যেমন চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং সিলেট অঞ্চল এর ভাষা আদর্শ বাংলা থেকে অনেকটাই ভিন্ন।বহুপূর্বে সিলেট অঞ্চলে সিলেটি নাগরী নামক লিপি দ্বারা সিলেটি ভাষার লিখিত রূপও ছিল তবে বর্তমানে তা আর লেখা হয় না। বাংলাদেশ ও বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলের ভাষা এথ্‌নোলগ-এর ২১ তম সংস্করণ (২০১৮) অনুসারে বাংলাদেশে ৪১ টি ভাষা প্রচলিত আছে সবকটি ভাষাই জীবিত। নিচের সারণিতে এগুলির বিবরণ দেয়া হল। আরও দেখুন বাংলাদেশী ইংরেজি তথ্যসূত্র আরো পড়ুন * ইউনেস্কো, "Bangladesh: Some endangered languages (information from Ethonologue, UNESCO)", জুন, ২০১০। বহিঃসূত্র বাংলাদেশের নৃতাত্ত্বিক রিপোর্ট আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার ভাষা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ভাষা
বাংলাদেশের ভাষা
REDIRECT সৌদি আরব#ভাষা
সৌদি আরবের ভাষা
right|thumb|350px|চেক প্রজাতন্ত্রের উপগ্রহ চিত্র (সেপ্টেম্বর ২০০৩) চেক প্রজাতন্ত্রের ভূ-প্রকৃতি বেশ বিচিত্র। পশ্চিমে বোহেমিয়া মূলত এলবে ও ভ্‌লতাভা নদীবিধৌত একটি নিম্ন অববাহিকা অঞ্চল। সমভূমিটির চারপাশে ঘিরে আছে মূলত নিম্ন উচ্চতাবিশিষ্ট পাহাড়। এই পাহাড়গুলির মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পর্বত স্নিয়েজ্‌কা পর্বত (১,৬০২ মিটার) অবস্থিত। পূর্বের মোরাভিয়া অঞ্চলটিও বেশ পর্বতময় এবং মূলত মোরাভা নদী দ্বারা বিধৌত। তবে এখানে ওডার নদীর উৎসস্থলও অবস্থিত। স্থলবেষ্টিত চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নদীগুলি তিনটি সাগরে পড়েছে: উত্তর সাগর, বাল্টিক সাগর এবং কৃষ্ণ সাগর। জার্মানির হামবুর্গ শহরে চেক প্রজাতন্ত্রের অধীনে ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের একটি ডক বা পোতাশ্রয় রয়েছে। স্থলবেষ্টিত চেক প্রজাতন্ত্রের নদীবাহিত মালামাল যেন সমুদ্রগামী জাহাজে উঠানো যায়, সেই কারণে ভের্সাইয়ের চুক্তিতে চেক প্রজাতন্ত্রকে এই জায়গাটি প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালে এটি জার্মানির কাছে ফেরত যাবে। বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল বিষয়শ্রেণী:চেক প্রজাতন্ত্র বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের ভূগোল pt:República Checa#Geografia
চেক প্রজাতন্ত্রের ভূগোল
thumb|200px|মাল্টার উপগ্রহ চিত্র মাল্টা ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এটি ইতালির সিসিলি দ্বীপের প্রায় ১০০ কিমি দক্ষিণে এবং আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে কতগুলি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে কেবল মাল্টা, গোজো ও কোমিনো দ্বীপে মনুষ্যবসতি আছে। দ্বীপগুলির তটরেখা অনিয়মিত, ফলে এগুলিতে অনেক প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় আছে। বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল বিষয়শ্রেণী:মাল্টা বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের ভূগোল
মাল্টার ভূগোল
গ্রিসের অর্থনীতি মূলত সেবা খাত ভিত্তিক। ২০০৬ সালে দেশটির জিডিপি ছিল ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এখানে মাথাপিছু জিডিপি ৩২ হাজার ডলারেরও বেশি। আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী অর্থনীতি বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের অর্থনীতি বিষয়শ্রেণী:গ্রিস
গ্রিসের অর্থনীতি
সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি পৃথিবীর অন্যতম স্থিতিশীল অর্থনীতি। দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রা নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেশটির অর্থনৈতিক নীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য, যা সুইজারল্যান্ডকে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটী আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পরিচিত করে তুলেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির নির্ভরতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শিল্প ও বাণিজ্য সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বিশ্বের সর্বোচ্চ মাথা-পিছু আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ড অন্যতম। সুইজারল্যান্ডে বেকারত্বের হার কম। এছাড়া দেশটির সেবা খাত ক্রমেই অর্থনীতির একটি বড় অংশ হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ OECD's Switzerland country Web site and OECD Economic Survey of Switzerland SWISS MARKET IND Swiss Federal Statistical Office Gross Domestic Product Growth - Switzerland Swiss Economic Forecasts swissinfo.ch business news and articles বিষয়শ্রেণী:সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি
সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতি
পুনর্নির্দেশ জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা
টুইটি বার্ড, যা টুইটি নামে বেশি পরিচিত। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কার্টুন সিরিজ লুনি টুনস ও মেরি মেলোডি এ দেখা যায়। একটি ছোট ক্যানারি জাতীয় পাখি। বব ক্ল্যাম্পেট ১৯৪২ সালে তার অ্যা টেল অব টু কিটিস এর মাধ্যমে এর প্রথম উপস্থাপন করেন। চলচ্চিত্রের তালিকা বব ক্ল্যাম্পেট পরিচালিত চলচ্চিত্র অ্যা টেল অব টু কিটিস (১৯৪২) বার্ডি অ্যান্ড দ্য বিস্ট (১৯৪২) অ্যা গ্রুসাম টুসাম (১৯৪৫) ফ্রিজ ফ্রেলেং পরিচালিত চলচ্চিত্র টুইটি পাই (১৯৪৭) আই ট অ্যা পুটি ট্যাট (১৯৪৮) ব্যাড অল পুটি ট্যাট (১৯৪৯) হোম টুইট হোম (১৯৫০) অল অ্যা বার-র-র-র্ড (১৯৫০) ক্যানারি রো (১৯৫০) চাক জোন্স পরিচালিত চলচ্চিত্র নো বার্কিং (১৯৫৪) সুপিরিয়র ডাক (১৯৯৬) গ্যারি চিনিকাই পরিচালিত চলচ্চিত্র হাওয়াই আই আই (১৯৬৪) তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:কার্টুন চরিত্র
টুইটি
নীল কমল () দুঃসাহসী টিন‌টিন সিরিজের পঞ্চম বই। এই বইয়ে প্রথম বারের মত আবির্ভূত হয় চ্যাং। কাহিনী ভারতের গাইপাজামার মহারাজার অতিথি হয় টিনটিন। সেখানে অজ্ঞাত পরিচয় এক চীনা ব্যক্তির হত্যা হলে টিনটির সাংহাই রওনা দেয়। সাংগাইতে আফিমের চোরাচালানকারী রা তাকে হত্যার চক্রান্ত করে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ The Blue Lotus Official Website The Blue Lotus at Tintinologist.org বিষয়শ্রেণী:১৯৩৬-এর বই বিষয়শ্রেণী:টিনটিনের বই বিষয়শ্রেণী:টিনটিন বিষয়শ্রেণী:কমিক বই বিষয়শ্রেণী:১৯৩০-এর দশকের উপন্যাস বিষয়শ্রেণী:চীনে সেট কমিক্স বিষয়শ্রেণী:উপন্যাসে জাপান বিষয়শ্রেণী:ল্য প্যতি ভাঁতিয়েমে মূলত প্রকাশিত কাজ বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য প্রথম সিরিয়াল আকারে প্রকাশিত বিষয়শ্রেণী:মেথুইন প্রকাশনীর বই নীল কমল
নীলকমল
লোহিত সাগরের হাঙর () দুঃসাহসী টিন‌টিন সিরিজের একটি কমিক বই। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ The Red Sea Sharks Official Website The Red Sea Sharks at Tintinologist.org বিষয়শ্রেণী:১৯৫৮-এর বই বিষয়শ্রেণী:টিনটিনের বই বিষয়শ্রেণী:টিনটিন বিষয়শ্রেণী:কমিক বই বিষয়শ্রেণী:টিনটিনের মূলত প্রকাশিত কাজ (ম্যাগাজিন) বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য প্রথম সিরিয়াল আকারে প্রকাশিত বিষয়শ্রেণী:মেথুইন প্রকাশনীর বই
লোহিত সাগরের হাঙর
thumb|right|Íslensku varðskipin V/s Þór, 27.10.2011, Reykyavik আইসল্যান্ড একটি শান্তিকামী দেশ এবং ১৮৫৯ হতে এর নিজস্ব কোনো সামরিক বাহিনী নাই। অবশ্য এদেশের সংবিধানে ১৮৭৪ সাল হতে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সামরিক বাহিনী গঠনের বিধান ছিল, বর্তমানে যা রদ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সাথে আইসল্যান্ডের সম্পর্ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময় হতেই বিদ্যমান। ১৯৪৯ সালে আইসল্যান্ড ন্যাটো জোটের সদস্য হয়, তবে শর্ত ছিল যে, আইসল্যান্ড কখনোই নিজে সামরিক বাহিনী গঠন করবে না। সামরিক জোটসমূহে আইসল্যান্ডের ভূমিকা হলো সেদেশে বিভিন্ন দেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেয়া। যেমন, কেফ্লাভিকে ন্যাটো জোটের বিমানঘাঁটি রয়েছে, যা মূলত মার্কিন বিমানবাহিনী পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া এখানে ডেনমার্ক ও নরওয়ের ও সামরিক বাহিনীর উপস্থিত আছে। আইসল্যান্ডে ডুবোজাহাজের প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হতো, তবে বর্তমানে এটি স্থগিত আছে। আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের সামরিক বাহিনী
আইসল্যান্ডের সামরিক বাহিনী
300px|right ইতালীয় ভাষা ইতালিতে প্রচলিত প্রধান ও সরকারি ভাষা। কিন্তু ইতালির প্রায় অর্ধেক সংখ্যক লোক আদর্শ ইতালীয় ভাষাতে কথা বলে না। এরা বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা, যেমন আকিলানো, লোম্বার্দীয়, মোলিসানো, নেয়াপোলিতানীয়, পিয়েমন্তীয়, পুইলিয়েসীয়, সার্দিনীয়, সিসিলীয়, ভেনেতীয়, ইত্যাদিতে কথা বলে থাকে। আঞ্চলিক ভাষাগুলি অনেক ক্ষেত্রে পরস্পর বোধগম্য না-ও হতে পারে। ইতালির ত্রেন্তিনো-আলতো আদিগে অঞ্চলে জার্মান একটি প্রাদেশিক পর্যায়ের সরকারি ভাষা, অন্যদিকে আওস্তা উপত্যকা এলাকাতে ফরাসি ভাষাও একই মর্যাদাপ্রাপ্ত। এগুলির বাইরেও ইতালিতে আরও প্রায় ১৫টির মত ভাষা প্রচলিত, যেমন আলবেনীয়, ফ্রিউলীয়, গ্রিক, অক্সিতঁ, রোমানি বা জিপসি, এবং স্লোভেনীয় ভাষা। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ইতালীয়, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। বহিঃসংযোগ ইতালির ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট তথ্য সূত্র বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভাষা বিষয়শ্রেণী:ইতালির সংস্কৃতি বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের ভাষা বিষয়শ্রেণী:ইতালির ভাষা
ইতালির ভাষা
ফিনল্যান্ডের দুইটি সরকারী ভাষা হল ফিনীয় ও সুয়েডীয়। সরকারীভাবে স্বীকৃত সংখ্যালঘু ভাষাগুলি হল সামি, রোমানি এবং ফিনীয় প্রতীকী ভাষা। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ফিনল্যান্ডের ভাষার উপর এথনোলগ রিপোর্ট বিষয়শ্রেণী:ফিনল্যান্ডের সংস্কৃতি বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের ভাষা বিষয়শ্রেণী:ফিনল্যান্ডের ভাষা
ফিনল্যান্ডের ভাষা
সুইজারল্যান্ডে মূলত জার্মান (সুইজারল্যান্ডীয় জার্মান), ফরাসি, ইতালীয় এবং রোমান্‌শ ভাষা প্রচলিত। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভাষা বিষয়শ্রেণী:সুইজারল্যান্ড বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের ভাষা বিষয়শ্রেণী:সুইজারল্যান্ডের ভাষা en:Linguistic geography of Switzerland
সুইজারল্যান্ডের ভাষা
thumb|right|300px|নিকারাগুয়ার ভূ-সংস্থানিক মানচিত্র thumb|right|300px|নিকারাগুয়ার উপগ্রহ চিত্র নিকারাগুয়া মধ্য আমেরিকার একটি দেশ। এর পূর্বে ক্যারিবী সাগর এবং পশ্চিমে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর। দেশটিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিম্নভূমি, মধ্যভাগের আর্দ্র, শীতল উচ্চভূমি এবং ক্যারিবীয় নিম্নভূমি --- এই তিনটি ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়। বিষয়শ্রেণী:উত্তর আমেরিকার ভূগোল বিষয়শ্রেণী:নিকারাগুয়া বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী ভূগোল
নিকারাগুয়ার ভূগোল
১৮২১ সালে স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের সময় থেকেই পানামাতে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বিদ্যমান। পানামাতে ১৯০৩, ১৯৪৬ এবং ১৯৭২ সালে তিনবার সংবিধান রচনা করা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে সংবিধানে বড় ধরনের সংশোধন আনা হয়। ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের সব নাগরিকের নির্বাচনে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। পানামার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের বিপরীতে ১৯৩০-এর দশক থেকেই দেশটির সেনাবাহিনী দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছে। সামরিক বাহিনী ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পানামার সরকারীভাবে কোন সেনাবাহিনী নেই। ১৯০৩ সাল থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। তবে ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে দেশের অভ্যন্তরে একটি সামরিক পুলিশ বাহিনী সবসময়ই বিদ্যমান ছিল। এটি বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পুলিশ (১৯০৩-১৯৫৩), জাতীয় গার্ড (১৯৫৩-১৯৮৩), পানামা প্রতিরক্ষা বাহিনী (১৯৮৩-১৯৮৯), এবং গণবাহিনী (১৯৯০-) নামে পরিচিত। ১৯৪০-এর দশকের শেষ নাগাদ পুলিশ কমান্ডার হোসে আন্তোনিও রেমন রাষ্ট্রপতি বাছাই ও অপসারণের ক্ষমতা নিয়ে নেন। ১৯৫২ সালে তিনি নিজেই দেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। ১৯৫৫ সালে তাকে হত্যা করা হলে পুলিশ সরকারে সক্রিয় ভূমিকা থেকে বিরত হয়। কিন্তু ১৯৬৮ সালে দুইজন কর্নেল একটি সামরিক কু-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে উৎখাত করেন এবং পানামাতে ২২ বছর দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সূচনা হয়। এসময় ওমার তোররিহোস এররেরা (১৯৬৯-১৯৮১), এবং মানুয়েল নোরিয়েগা (১৯৮৪-১৯৮৯) ছিলেন প্রধান রাষ্ট্রনায়ক। ১৯৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামা আক্রমণ করে নোরিয়েগাকে অপসারণ করে, সেনাবাহিনী ভেঙে দেয় এবং দেশটিতে বেসামরিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। বিষয়শ্রেণী:পানামা বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী রাজনীতি বিষয়শ্রেণী:উত্তর আমেরিকার রাজনীতি
পানামার রাজনীতি
বোম্বেটে জাহাজ () বেলজীয় কার্টুনিস্ট হার্জের দুঃসাহসী টিন‌টিন সিরিজের এগারোতম কমিক বই। বেলজিয়ামের ফরাসিভাষী দৈনিক লে সয়ার-এ ধারাবাহিকভাবে এটি প্রকাশিত হয় ১৯৪২ এর জুন থেকে ১৯৪৩ এর জানুয়ারি পর্যন্ত; যখন বেলজিয়াম দখলে নিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাজি সৈন্যরা। কমিকসের মূল চরিত্র টিনটিন, কুট্টুস আর ক্যাপ্টেন হ্যাডক ও তার এক পূর্বপুরুষ স্যার ফ্রান্সিস হ্যাডকের রেখে যাওয়ার ধাঁধা নিয়েই কাহিনী আবর্তিত হয়। ধাঁধার সমাধান করে লাল বোম্বেটের গুপ্তধন পেতে তাদের প্রয়োজন ইউনিকর্ন জাহাজের তিনটি মডেল। কিন্তু সেগুলো পাওয়ার জন্য অপরাধীরাও মরিয়া হয়ে ওঠে আর এজন্য তারা কাউকে খুন করতেও দ্বিধা করে না। বোম্বেটে জাহাজ ব্যবসায়িকভাবে বিরাট সাফল্য লাভ করে। পত্রিকায় প্রকাশের অনতিকাল পরেই কাস্টরম্যান এটি গ্রন্থাকারে ছাপে। এটির পরবর্তী কমিক লাল বোম্বেটের গুপ্তধন এই অভিযানেরই অংশ যাতে টিনটিন, কুট্টুস আর ক্যাপ্টেন হ্যাডক রওনা হয় সমুদ্রের বুকে, গুপ্তধনের খোঁজে। তিব্বতে টিনটিন (১৯৬০) লেখার পূর্বে বোম্বেটে জাহাজ ছিল হার্জের নিজের প্রিয় সৃষ্টি। পরবর্তীতে এর গল্প অবলম্বনে তিনটি এনিমেশন মুভি নির্মিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্টিভেন স্পিলবার্গ এবং পিটার জ্যাকসনের দি অ্যাডভেঞ্চার্স অব টিনটিন (চলচ্চিত্র) (২০১১)। কাহিনীসংক্ষেপ ব্রুসেলসের পুরনো বাজারে ঘুরতে গিয়ে টিনটিন একটা জাহাজের মডেল কেনে বন্ধু ক্যাপ্টেন হ্যাডকের জন্যে। কিন্তু তখনই জাহাজের মডেল সংগ্রাহক ইভান ইভানোভিচ স্যাখারিন আর অ্যাণ্টিক-সন্ধানী বার্নাবি এসে সেটা কিনতে চায়। তারা বহুগুণ দাম সাধাসাধি করলেও টিনটিন কারো কাছেই সেটা বিক্রি করেনি। বাজারে পুলিশের দুই গোয়েন্দা জনসন ও রনসনকেও দেখা যায়; তারা পকেটমার ধরতে বেরিয়েছে। টিনটিন জাহাজের মডেলটা বাসায় এনে রাখার কিছু পরেই কুট্টুসের ধাক্কায় এটার বড় মাস্তুল ভেঙে যায়। মেরামত করে ক্যাপ্টেন হ্যাডককে দেখানোর পর জানা যায়, এটা ‘ইউনিকর্ন’ জাহাজের মডেল, ক্যাপ্টেনের এক পূর্বপুরুষ ছিলেন যার কমান্ডার।টিনটিন যখন বাড়ির বাইরে, জাহাজের মডেলটা চুরি হয়ে যায়। সেটার খোঁজে টিনটিন স্যাখারিনের বাড়িতে গিয়ে দেখে, তার কাছেও ইউনিকর্নের হুবহু একইরকম আরেকটি মডেল আছে। বাসায় ফিরে টিনটিন খুঁজে পায় গোল করে পাকানো একটুকরো কাগজ যা হয়তো মডেল জাহাজের ভাঙা মাস্তুলের ভেতর ছিল। কাগজে লেখা দুর্বোধ্য একটা ধাঁধা: "তিন ভাই... তিন জাহাজ... দুপুর বেলায় যাত্রা... সূর্য পথ বাতলায়... আলো থেকেই আসে আলো... তাতেই আঁধার কাটে"। ধাঁধাটা শুনে ক্যাপ্টেন জানায় যে, তার পূর্বপুরুষ স্যার ফ্রান্সিস হ্যাডক ছিলেন ১৭শ শতকের রণতরী ‘ইউনিকর্ন’-এর ক্যাপ্টেন। জলদস্যু লাল বোম্বেটে তার জাহাজ কবজা করে তাকে বন্দি করে আর সেখানে জমায় তাদের লুট করা সব সম্পদ। রাতের আঁধারে স্যার ফ্রান্সিস নিজেকে মুক্ত করে লাল বোম্বেটের সাথে ডুয়েলে তাকে হত্যা করেন আর জাহাজের অস্ত্রাগারে আগুন লাগিয়ে দেন। বিস্ফোরণের পূর্বেই তিনি জাহাজ থেকে নেমে আসতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই আবার ইউনিকর্নের ৩টি মডেল বানিয়ে তার পুত্রদের দিয়ে যান। এদিকে সেই বার্নাবি টিনটিনের সাথে দেখা করতে এসে বাসার দরজায় গুলিবিদ্ধ হয়। অজ্ঞান হবার আগে সে কিছু বলতে না পারলেও একঝাঁক চড়ুইপাখির দিকে রহস্যময় ইঙ্গিত করে। আসলে তার আততায়ী ছিল দুই বার্ড ভাই, অ্যান্টিক ব্যবসায়ী; ইউনিকর্নের ৩য় মডেল ও ধাঁধা পেয়ে তারা ধাঁধার অপর দুই টুকরো হাত করার চেষ্টা করছে। প্রথমে বার্নাবি তাদের হয়ে একাজ করলেও এখন বনিবনা না হওয়ায় সে টিনটিনের কাছে আসে আর তারাও তার পিছু নেয়। যাইহোক, বার্ড ভাইয়েরা পরবর্তীতে টিনটিনকেও বন্দী করে তাদের কাউন্টি মার্লিনসস্পাইক হলের ভূগর্ভস্থ গুদামে। টিনটিন সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয় আর জনসন-রনসন বার্ড ভাইদের গ্রেপ্তার করে। বার্ড ভাইদের কাছে তখন ধাঁধার শুধু একটা টুকরো ছিল। অপর দুটুকরো তাদের মানিব্যাগের সাথে চুরি হয়েছে। টিনটিনের সাহায্যে মাণিকজোড় খুঁজে বের করে সেই পকেটমার: মিঃ সিল্ক, চুরি করা যার পেশা নয়, লোকের মানিব্যাগ সংগ্রহ করা তার বাতিক। তার কাছে বার্ডদের মানিব্যাগ ও তাতে অপর দুটুকরো কাগজ পাওয়া যায়। এবার তিনটি কাগজ একত্রে আলোর সামনে ধরলে জানা যায় সেই স্থানের অক্ষ ও দ্রাঘিমা যেখানে ডুবেছিল ইউনিকর্ন আর বোম্বেটের ধনসম্পদ। সেসব উদ্ধার করতে সমুদ্রযাত্রার পরিকল্পনা করতে থাকে টিনটিন আর হ্যাডক। ইতিহাস প্রেক্ষাপট ১৯৪০ সালে হার্জের লে সয়ারে যোগদান করার সময় এটি ছিল বেলজিয়ামের সর্ববৃহৎ ফরাসীভাষী পত্রিকা। লে সয়ারের শিশুতোষ ক্রোড়পত্র লে সয়ার জেনেস-এর খ্যাতিমান সম্পাদক হয়ে ওঠেন হার্জ। সহকারী ছিলেন তার পুরনো বন্ধু পল জেমিওন এবং কার্টুনিস্ট জ্যাক ভ্যান মেল্কবিকি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জার্মানি বেলজিয়াম দখল করে, লে সয়ার পত্রিকাও বাজেয়াপ্ত হয়। পরে তা আবার প্রকাশিত হয় জার্মান যুদ্ধনীতি ও ইহুদিবিদ্বেষের সমর্থনে। এরূপ জার্মান নিয়ন্ত্রণ সত্ত্বেও লে সয়ারের বিপুল পাঠকগোষ্ঠী (প্রায় ৬ লক্ষ) থাকায় হার্জ তা ছাড়তে পারেননি। তবে এরপর থেকে তিনি কমিকসে আর স্পষ্টভাবে সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনা ব্যবহার না করে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে থাকেন। লেখক হ্যারি থম্পসনের পর্যবেক্ষণে, তখন রাজনৈতিক ব্যঙ্গ বা প্রহসনের বদলে "হার্জ বেশি মনোযোগ দিচ্ছিলেন [কমিকসের] কাহিনীতে এবং নতুনভাবে চরিত্রগুলোতে রসসৃষ্টিতে। পাঠকেরা তা ভালোভাবে নিয়েছিলেন।" বোম্বেটে জাহাজ ছিল টিনটিন সিরিজের প্রথম কমিকস যেটাতে হার্জ এবং ভ্যান মেল্কবিকি লক্ষণীয় মাত্রায় যৌথকাজ করেছেন। জীবনীকার বেনয়েট পিটারের মতে, ভ্যান মেল্কবিকিকে কমিকসটির সহ-কাহিনীকার হিসেবে বিবেচনা কর উচিত। তার সাথে আলোচনার ফলেই হার্জ আগের চেয়ে আরো জটিল একটি গল্প সৃস্টিতে হাত দিয়েছিলেন। ভ্যান মেল্কবিকি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন জুল ভার্ন এবং পল দেল্ভয়ের দ্বারা, যা কমিকসটিতে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।. মেল্কবিকির পরামর্শেই হার্জ এতে ৩টি লুকানো কাগজের ধাঁধা সৃষ্টি করেন, জুল ভার্নের দ্য চিলড্রেন অফ ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট(১৮৬৭)-এর মতো। ভ্যান মেল্কবিকির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ হার্জ তার একটি ছবি এঁকে দেন কমিকসে শুরুর বাজারের দৃশ্যে। ছবিটা বিশেষ করে সার্থক হয়েছিল কারণ মেল্কবিকি ছোটবেলায় সেই বাজার থেকেই তার বইপত্র কিনেতেন। বোম্বেটে জাহাজ ছিল সেই অভিযানের প্রথম অংশ যা শেষ হয় লাল বোম্বেটের গুপ্তধনে। ফারাওয়ের চুরুট ও নীলকমলের পর এটিই ছিল হার্জের প্রথম দুই-অংশবিশিষ্ট গল্প। অবশ্য টিনটিনবিদ মাইকেল ফার মন্তব্য করেছেন,ফারাওয়ের চুরুট ও নীলকমল ছিল অনেকবেশি "আত্মগত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ", সে তুলনায় বোম্বেটে জাহাজ ও লাল বোম্বেটের গুপ্তধনের মাঝে সংযোগ বহুদূর ঘনিষ্ঠ। thumb|300px|left|হার্জের আঁকা- স্যার ফ্রান্সিস হ্যাডক লড়ছেন লাল বোম্বেটের জলদস্যুদের সাথে পূর্বের কমিকসগুলো আঁকতে হার্জ ব্যবহার করেছেন পত্রিকার কাটিং, তার নিজের ছবির সংগ্রহ এবং অন্য অনেক উৎস। কিন্তু বোম্বেটে জাহাজের বেলায় বিভিন্ন দৃশ্য ও চরিত্র আঁকতে হার্জকে ব্যবহার করতে হলো অনেক নতুন ও বিচিত্র ধরনের উৎস। পুরোনো জাহাজের ছবি আঁকতে হার্জ প্রথমে বইপত্র ঘাঁটলেন, বিশেষত তৎসম্প্রতি প্রকাশিত আলেকজান্ডার বের্কমেনের ল'আর্ট এট ল মের (সমুদ্র ও শিল্প)। এরপর আরো নিখুঁত প্রতিকৃতি পেতে তিনি তার বন্ধু জেরার্ড লাইগার-বেলেয়ারের সাথে দেখা করলেন। ব্রুসেলসে জেরার্ডের একটি দোকান ছিল জাহাজের মডেল সংগ্রহের। জেরার্ড হার্জের জন্যে একটি জাহাজের নকশা করে দিলেন, ১৭-শতকীয় পনের-কামানওয়ালা ফরাসী জাহাজ: লে ব্রিলান্ট; ১৬৯০ সালে ফ্রান্সের লে আভর-এ জাহাজটি নির্মাণ করে স্যালিকন এবং সাজসজ্জা করেন জাঁ বেরেইন দি এল্ডার। ১৭-শতকীয় জাহাজের নকশা আরো ভালোভাবে বোঝার জন্যে, হার্জ সেযুগের অন্যসব জলযান নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করলেন, যেমন লে সলায়েল রয়েল, লা কোরাওন, লা রয়েল এবং লে রিয়েল ডি ফ্রান্স। শেষোক্ত জাহাজ থেকে তিনি ইউনিকর্নের নৌকাটির ধারণা পেয়েছিলেন। ফরাসি নৌবাহিনীর বর্ষপঞ্জীতে ইউনিকর্ন নামে কোনো জাহাজ ছিল না। হার্জ এই নামটি নিয়েছিলেন ১৮ শতকের একটি ব্রিটিশ ফ্রিগেট থেকে। কমিকসে জাহাজের অগ্রভাগে যে ইউনিকর্নের মূর্তিটি দেখা যায় সেটাও ফ্রিগেটের অনুসরণে আঁকা। হার্জ লাল বোম্বেটে (রেড রেকহাম) চরিত্রের কিছুটা অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন জিন রেকহাম থেকে। দিমাঞ্চে-ইলাস্ট্রের নভেম্বর (১৯৩৮) সংখ্যায় এই কাল্পনিক জলদস্যু ও তার দুজন সহচরী অ্যান বনি ও মেরি রিডকে একটি গল্প ছাপা হয়, যেটা হার্জের নজর কাড়ে। লাল বোম্বেটের চেহারা ও পোশাকের অনুপ্রেরণা ছিল সি এস ফরেস্টারের উপন্যাস দ্য ক্যাপ্টেন ফ্রম কানেকটিকাটের চরিত্র লোরুজ এবং ১৭-শতকী ফরাসী বুকানিয়ার ড্যানিয়েল মন্টবার্স। বেলজিয়ামের শহর সার্ট-মৌলিনের নামানুসারে মৌলিনসার্ট তথা মার্লিনস্পাইক হলের নামকরণ করা হয়। আর বাড়িটির আদত নকশা করা হয় ফরাসী দুর্গ শ্যাতো দি শীভার্নির উপর ভিত্তি করে, একটু পরিবর্তনসহ। গল্পে ফ্রান্সিস হ্যাডক চরিত্র এনে হার্জ ক্যাপ্টেন হ্যাডককে করে দিলেন সিরিজের একমাত্র চরিত্র (জয়লন ওয়াগ ব্যতীত) যার কিনা পরিবার ও বংশবৃত্তান্ত আছে। বোম্বেটে জাহাজের পুরো কাহিনী ঘটে বেলজিয়ামে এবং পান্না কোথায় লেখার পূর্ব পর্যন্ত এটি ছিল সেখানে টিনটিনের শেষ অভিযান। তিব্বতে টিনটিন (১৯৬০) লেখার পূর্বে বোম্বেটে জাহাজ ছিল হার্জের নিজের প্রিয় সৃষ্টি। ঐতিহাসিক সাদৃশ্য বইটি প্রকাশের পর হার্জ জানতে পারেন যে বাস্তবেই হ্যাডক নামে একজন নৌসেনাপতি ব্রিটিশ রয়েল নেভীতে ১৭-১৮শ শতকে কাজ করেছেন: স্যার রিচার্ড হ্যাডক (১৬২৯-১৭১৫)। তৃতীয় অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধের প্রথম নৌসমর ছিল ব্যাটল অব সোলবে (১৬৭২)। এ যুদ্ধে রিচার্ড হ্যাডকের দায়িত্বে ছিল আর্ল অব স্যান্ডউইচের প্রধান রণতরী রয়্যাল জেমস। যুদ্ধে তিনি আহত হন, ডাচরা তার জাহাজে আগুন ধরিয়ে দেয়, সাগরে লাফিয়ে পড়ে তিনি প্রাণ বাঁচান। যুদ্ধে বীরত্বের জন্যে ব্রিটিশ রাজা দ্বিতীয় চার্লস তাকে সন্মানিত করেন। পরবর্তীতে তিনি রয়্যাল চার্লসের কমান্ডার হন আর শেষজীবন কাটান নৌ-প্রশাসক হিসেবে। উল্লেখ্য, অ্যাডমিরাল হ্যাডকের দাদার নামও ছিল রিচার্ড, যিনি যুদ্ধজাহাজ এইচ এম এস ইউনিকর্ন পরিচালনা করেছেন রাজা প্রথম চার্লসের আমলে। সেসময় ক্যাপ্টেন হ্যাডক নামে আরো এক ব্যক্তির কথা জানা যায়। ইনি অ্যানি অ্যান্ড ক্রিস্টোফার নামে একটি অগ্নিজাহাজ পরিচালনা করেন। ডেভিড অগ লিখেছেন যে, এই ক্যাপ্টেন দলছুট হয়ে তার জাহাজ নিয়ে চলে যান মালাগায় এবং সেখানকার মালামাল ব্রিটেনে নিয়ে বহুগুণ মুনাফায় বিক্রি করেন। এই কাজের জন্যে ১৬৭৪ সালে তাকে নৌ-ট্রাইবুনালে জবাবদিহি করতে হয়। এর শাস্তিস্বরূপ তার পুরো মুনাফা বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তাকে ৬ মাসের জন্যে বরখাস্ত করা হয়। প্রকাশনা লে সয়ার পত্রিকায় Le Secret de la Licorne নিয়মিত প্রকাশ শুরু হয় ১১ জুন ১৯৪২। ফরাসী ক্যাথলিক পত্রিকা Cœurs Vaillants-এ টিনটিনের আগের বইগুলোর সাথে এটিও ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ১৯ মার্চ ১৯৪৪ থেকে। বেলজিয়ামের খ্যাতনামা প্রকাশনী ক্যাস্টরম্যান কমিকসটি ১৯৪৩ সালে ৬২-পৃষ্ঠার বই ফরম্যাটে প্রকাশ করে। পুরো রঙিন বইটির জন্য নতুন প্রচ্ছদ এঁকে দেন হার্জ, ততদিনে মূল কাহিনীর ক্রমবিন্যাস তিনি সম্পূর্ণ করেছেন, সঙ্গে ছয়টি বড়মাপের রঙিন চিত্র। ফরাসিভাষী বেলজিয়ামে বইটির প্রথম মুদ্রণের ৩০,০০০ কপি বিক্রি হয়। দুঃসাহসী টিনটিন সিরিজে বোম্বেটে জাহাজ ও লাল বোম্বেটের গুপ্তধন কমিকসদুটোই প্রথম ইংরেজিতে অনূদিত হয়। ক্যাস্টরম্যান প্রকাশিত সংস্করণদুটির বিক্রি খুব কম হয় এবং এখন কেবল অল্প কয়েকজনের সংগ্রহে তা আছে। সাত বছর পর ম্যাথুয়েন গল্পদুটি পুনর্প্রকাশ করে, অনুবাদ করেন লেসলি লন্সডেল-কুপার এবং মাইকেল টার্নার। ইংরেজি অনুবাদে দেখা যায়, স্যার ফ্রান্সিস হ্যাডক রাজা দ্বিতীয় চার্লসের কাজ করেন, কিন্তু মূল ফরাসি সংস্করণে তাকে ফরাসীরাজ চতুর্দশ লুইয়ের হয়ে কাজ করতে দেখা যায়। কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে বোম্বেটে জাহাজের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে তাদের শিশুতোষ ক্রোড়পত্র আনন্দমেলায়। অনুবাদ করেছিলেন ক্রোড়পত্রের সম্পাদক কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কমিকসটি ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে আনন্দ পাবলিশার্স বই হিসেবে প্রকাশ করে। সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ টিনটিনের প্রথম দিকের কমিকসগুলোর আঁকার শৈলি, রঙ এবং বিষয়ের ব্যবহার ফুটে উঠেছে বোম্বেটে জাহাজে। সেজন্যে হ্যারি থম্পসন এটিকে বলেছেন "প্রশ্নাতীতভাবে" ১৯৩০-এর সৃষ্টিগুলোর অন্তর্গত এবং "হার্জের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা রহস্য"। তার মতে, বোম্বেটে জাহাজ এবং লাল বোম্বেটের গুপ্তধন গল্পদুটো ছিল 'টিনটিনের ক্যারিয়ারে' তৃতীয় এবং কেন্দ্রীয় ধাপ। কারণ, নতুন রাজনৈতিক পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার স্বার্থে, রিপোর্টার টিনটিন এখানে হয়ে ওঠে অভিযাত্রী। তিনি আরো মনে করেন যে, এটিই ছিল 'টিনটিনের সবচেয়ে সফল অভিযান'। জিন-মার্ক লফিশিয়ার এবং র‍্যান্ডি লফিশিয়ারের বর্ণনায়, ক্যাপ্টেন হ্যাডক ছিল গল্পের ‘সবচেয়ে জীবন্ত চরিত্র’; বিপরীতদিকে বার্ড ভাইয়েরা ছিল ‘অপেক্ষাকৃত অনুজ্জ্বল খলনায়ক’। তারা আরো মন্তব্য করেন যে, বোম্বেটে জাহাজ ও লাল বোম্বেটের গুপ্তধন ধারাগল্পটি টিনটিন সিরিজের 'একটি সন্ধিক্ষণ', যেহেতু এটি পাঠকের মনোযোগ টিনটিন থেকে হ্যাডকের দিকে ঘুরিয়ে দেয়, পরবর্তীতে যে হয়ে ওঠে 'সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র'। তারা বোম্বেটে জাহাজের 'প্রকৃতই চমৎকার গল্পকথনের' প্রশংসা করেছেন এবং পরিশেষে একে ৫ এর মধ্যে ৪ রেটিং দিয়েছেন। ফিলিপ গডিন মন্তব্য করেন, গল্পের যে দৃশ্যে হ্যাডক তার পূর্বপুরুষের কাহিনী বর্ণনা করে সেখানে পাঠক "অভিক্ষিপ্ত হয় একে একে বর্তমান ও অতীতে, বিস্ময়কর কুশলতায়। পর্বগুলো অন্তর্বন্ধিত, একে অন্যকে সমৃদ্ধ করেছে, বিস্তারিত হয়েছে এবং মিলে গিয়েছে আশ্চর্য সাবলীলতায়। হার্জ তার প্রতিভার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছিলেন।" হার্জের জীবনীকার বেনওয়া পিটারস মতপ্রকাশ করেন যে, বোম্বেটে জাহাজ এবং লাল বোম্বেটের গুপ্তধন উভয়ই দুঃসাহসী টিনটিন সিরিজে এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে’ কারণ তারাই ‘টিনটিনের জগত’ গড়ে তুলেছে এর মূল চরিত্রগুলোর সমাবেশে। পূর্বের কমিকসগুলোর আলোকে তিনি একে বলেছেন হার্জের অন্যতম "শ্রেষ্ঠ বর্ণনামূলক সাফল্য", যে ভঙ্গীতে তিনটি পৃথক কাহিনীকে এখানে একত্রে বুনে দেয়া হয়েছে। তার পর্যবেক্ষণে, ধর্মীয় উপাদান পূর্বের গল্পগুলোতে থাকলেও বোম্বেটে জাহাজ-এ তা ছিল আরো জোরালো এবং লাল বোম্বেটের গুপ্তধনেও, যার কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন ভ্যান মেল্কবিকিকে। অন্যত্র তিনি বলেছেন যে, এটি গল্পের সূচনাকে "এক অসাধারণ বর্ণনামূলক নিপুণতায় উন্মোচিত করেছে।" জীবনীকার পিয়ের অ্যাসোলিন লিখেছেন যে, গল্পটি ছিল "স্পষ্টতই প্রভাবিত – রবার্ট লুইস স্টিভেনসনের ট্রেজার আইল্যান্ড দ্বারা, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণে না হলেও মূল প্রেরণায়, বিবর্ণ জীবন হতে এর পলায়নবাদী মানসিকতায়।" তিনি এই অভিযানকে বর্ণনা করেছেন 'হার্জের সৃষ্টিকর্মে এক নতুন উন্নতি' হিসেবে, "একটি যাত্রা, সমসাময়িকতা থেকে জলদস্যুদের মহাকাব্যিক অভিযানে, দূর দিগন্তে।" অ্যাসোলিন এই পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেন যে, স্যার ফ্রান্সিস হ্যাডকের পূর্বপুরুষ অবয়ব প্রতিফলিত করছে গল্পে হার্জের এই পারিবারিক গুপ্তকথা যুক্ত করার চেষ্টা যে, তিনি ছিলেন একজন অভিজাতের বংশধর। মাইকেল ফার মনে করেন যে বইটির "সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য" লক্ষণীয় বিষয় ছিল এতে স্যার ফ্রান্সিস হ্যাডকের পরিচয়দান; বিশেষত, তার অঙ্গভঙ্গি এবং চিত্রায়ণে তিনি ক্যাপ্টেন হ্যাডক থেকে 'খুব সামান্যই প্রভেদযোগ্য'। তিনি আলোকপাত করেন সেই দৃশ্যগুলোতে যখন ক্যাপ্টেন হ্যাডক তার পূর্বপুরুষের কাহিনী শোনায়, যা মিলিয়ে দিতে থাকে স্বপ্ন ও বাস্তবকে, হার্জ যার পরীক্ষা চালিয়েছিলেন কাঁকড়া রহস্য ও আশ্চর্য উল্কায়। তবে আশ্চর্য উল্কাতে যেমন যুদ্ধ বা দখলের প্রতি ইঙ্গিত আছে এই দুই-বইয়ের ধারাগল্পে তা প্রায় নেই’, উল্লেখ করেছেন ফার। তিনি ধারাগল্পটির কাহিনীবর্ণনার প্রশংসা করেছেন যা 'নিখুঁতভাবে এগিয়েছে, কোনো তাড়াহুড়ো ছাড়া' হার্জের শুরুর কিছু কাজের মতোই। রূপায়ণ ১৯৫৭ সালে অ্যানিমেশন কোম্পানি বেলভিশিয়ান স্টুডিওস তৈরি করে হার্জে'স অ্যাডভেঞ্চারস অফ টিনটিন, হার্জের কমিকস অবলম্বন করে কার্টুন সিরিজ। পুরো রঙিন এই সিরিজটি প্রতিদিন ৫ মিনিট করৈ দেখানো হতো। এর দ্বিতীয় পর্বে ৪র্থ কার্টুন হিসেবে বোম্বেটে জাহাজ রূপায়িত হয়। সিরিজটির পরিচালনা করেন রে গুসেন এবং কাহিনী লেখেন সুপরিচিত কার্টুনিস্ট গ্রেগ, পরে যিনি টিনটিন ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে ফরাসি স্টুডিও এলিপস এবং কানাডীয় অ্যানিমেশন কোম্পানি নেলভানা যৌথভাবে টিনটিনের ২১টি গল্প নিয়ে সিরিজ তৈরি করে। বোম্বেটে জাহাজ এ সিরিজের ৯ম গল্প হিসেবে দুটি ৩০ মিনিটের এপিসোডে দেখানো হয়। স্টিফেন বের্নাসকোনি পরিচালিত সিরিজটি প্রশংসা পায় মূল কমিকসের প্রতি "সাধারণভাবে বিশ্বস্ত" থাকার জন্যে; এতটাই বিশ্বস্ত যে, সরাসরি হার্জের আঁকা প্যানেল থেকে অ্যানিমেশনটি তুলে আনা হয়েছিল। ২০১১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে মুক্তি পায় মোশন ক্যাপচার চলচ্চিত্র দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন: দ্য সিক্রেট অফ দি ইউনিকর্ন; পরিচালক ছিলেন স্টিভেন স্পিলবার্গ এবং প্রযোজক পিটার জ্যাকসন। কাঁকড়া রহস্য, বোম্বেটে জাহাজ ও লাল বোম্বেটের গুপ্তধন - এই তিনটি কমিক বই অবলম্বনে মূলত ছবিটি তৈরি হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটি ভিডিও গেমও পরের মাসে মুক্তি দেয়া হয়। তথ্যসূত্র পাদটীকা গ্রন্থপঞ্জী বহিঃসংযোগ The Secret of the Unicorn অফিসিয়াল ওয়েবসাইট The Secret of the Unicorn at Tintinologist.org বিষয়শ্রেণী:১৯৪৩-এর বই বিষয়শ্রেণী:টিনটিনের বই বিষয়শ্রেণী:জলদস্যুর বই বিষয়শ্রেণী:টিনটিন বিষয়শ্রেণী:কমিক বই বিষয়শ্রেণী:ল্য সোয়াতে মূলত প্রকাশিত কাজ বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য প্রথম সিরিয়াল আকারে প্রকাশিত বিষয়শ্রেণী:মেথুইন প্রকাশনীর বই
বোম্বেটে জাহাজ
নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান হল ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়। সমাজস্থ যে মানুষেরা একই ভাষায় ভাব বিনিময় করে, তাদের ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পর্ক আলোচনা করে নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান। সেই সমাজের ঐতিহ্য, বিশ্বাস, প্রথা, পারিবারিক সংগঠন প্রভৃতির সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক কী, তাই নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। এতে মূলত এমন ধরনের ভাষা নিয়ে গবেষণা হয় যেসব ভাষার কোন লিখিত দলিল-দস্তাবেজ নেই। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ সমতলের নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী মাহাতো জাতির নিজস্ব ভাষায় প্রথম উপন্যাস কারাম এর লিঙ্কঃ https://drive.google.com/file/d/0B5s86EP2ftisQXlkN2ZHWXl6ZTQ/view?usp=drivesdk বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:নৃবিজ্ঞান
নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান
ফরিদপুর বাংলাদেশের পাবনা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অবস্থান ভৌগলিকভাবে ২৪.০০৫’-২৪.০১৪ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.০১৭-৮৯.০২৭ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে এর অবস্থান। এ উপজেলার উত্তরে - ভাঙ্গুড়া উপজেলা ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা, পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা, দক্ষিণে সাঁথিয়া উপজেলা ও আটঘরিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে চাটমোহর উপজেলা ও ভাঙ্গুরা উপজেলা। প্রশাসনিক এলাকা এই উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে - বৃলাহিড়ীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ পুংগলী ইউনিয়ন পরিষদ ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ হাদল ইউনিয়ন পরিষদ বনওয়ারীনগর ইউনিয়ন পরিষদ ডেমরা ইউনিয়ন পরিষদ ইতিহাস ফরিদপুর উপজেলা শিক্ষা সংস্কৃতিতে অনন্য।এখানে আছে শতবছরের পুরনো রাজা বনমালী রায় বাহাদু এর রাজবাড়ী। তাই রাজার নাম অনুসারে এখানে বাজারের নাম হয়েছে বনওয়ারী নগর বাজার।এখানে আছে শতবছরের পুরাতন হাইস্কুল বনওয়ারী নগর সি বি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ।আছে নাম করা কলেজ মোহাম্মদ ইয়াসিন ডিগ্রি(অনার্স ) কলেজ। আছে অরধ শতবছরের নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল্লাহ আবাদ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়।উপজেলাটি বড়াল নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। ফরিদপুর উপজেলা শতভাগ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরীতে বাংলাদেশে ১ম স্থান অর্জন করেছে। জনসংখ্যার উপাত্ত এ উপজেলার মোট জন সংখ্যা ১,২৩,৯১৯ জন। যার মধ্যে ৬৩,৬১৮ জন রয়েছে পুরুষ এবং নারী সংখ্যা ৬০,৩০১ জন। শিক্ষা এ এলাকার ৪৭% মানুষই শিক্ষিত(যাদের বয়স ৭ বছরের উপরে )। মেয়েদে শিক্ষার হার ৪৩%এবং ছেলেদের শিক্ষার হার ৫১ %। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৮টি। রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা৩২টি। ১২টি উচ্চবিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ৩ টি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। মাদ্রাসার সংখ্যা ৪৯টি। ব্রাক স্কুল ৪৯টি। মহাবিদ্যালয় ৪ টি। অর্থনীতি অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। প্রায় ৭৫-৮৫% লোক কৃষির উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল। প্রধান ফসল ধান, সরিষা, গম, পাট, খেসারি, পিঁয়াজ ইত্যাদি। কৃতি ব্যক্তিত্ব মাসুম আজিজ। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ফরিদপুর উপজেলা বিষয়শ্রেণী:পাবনা জেলার উপজেলা
ফরিদপুর উপজেলা
মৌলবাদ () হচ্ছে গোঁড়া ধর্মীয় মতবাদসমূহের কঠোর অনুগমনের চাহিদা যা সাধারণত বোঝায় উদার ধর্মতত্ত্বের বিরুদ্ধে একটি প্রতিক্রিয়া। এই শব্দটি ইংরেজি ফান্ডামেন্টালিজম শব্দের অনুবাদ। মৌলবাদ শব্দটির সাধারণ অন্য অর্থ হল মূলজাত। এখানে মূল শব্দটি দ্বারা ধর্ম বোঝানো হচ্ছে। অর্থাৎ আদি কাল থেকেই ধারনাটি ধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। মৌলবাদীরা আক্ষরিক অর্থের সব কিছু গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মৌলবাদ নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। সেসব দেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক রূপের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রনৈতিক ক্ষমতা দখল। মৌলবাদ বা Fundamentalizm শব্দটি সর্বপ্রথম ১৯২২ সালে ব্যবহৃত হয় আমেরিকায়। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ The Sword of the Lord: The Roots of Fundamentalism in an American Family, book by Andrew Himes Can Anyone Define Fundamentalist? Article by Terry Mattingly via Scripps Howard News Service Richard Dawkins' The God Delusion and Atheist Fundamentalism by Simon Watson, published in Anthropoetics XV,2 Spring 2010 Shared Insights: Women's Rights Activists Define Religious Fundamentalisms The Appeal-and Peril-of Fundamentalism by Dr. Bert B. Beach The Fundamentals not complete at 2011-07-26. The Fundamentals: A Testimony to the Truth Online version of "The Fundamentals", not complete at 2011-07-26. International Coalition Against Political Islam Revolutionary Association of the Women of Afghanistan (RAWA) No to Political Islam Psychological Issues of Former Members of Restrictive Religious Groups by Jim Moyers Q & A on Islamic Fundamentalism www.blessedquietness.com a conservative Christian website, maintained by Steve van Natten Women Against Fundamentalism (UK) The Rise of Religious Violence [http://www.montrealmuslimnews.net/fundamentalism.htm Yahya Abdul Rahman's Take On Fundamentalists And Fundamentalism Roots of Fundamentalism Traced to 16th Century Bible Translations, Harvard University, November 7, 2007. The Fundamentalist Distortion of the Islamic Message by Syed Manzar Abbas Saidi, published in Athena Intelligence Journal Fundamentalism linked to intimate partner violence Evangelicalism – Fundamentalism; What Is The Difference? Admiel Kosman, Between Orthodox Judaism and nihilism: Reflections on the recently published writings of the late Rabbi Shimon Gershon Rosenberg, Haaretz, Aug.17, 2012. বিষয়শ্রেণী:রাজনৈতিক মতবাদ
মৌলবাদ
মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, যিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী নামে অধিক পরিচিত (১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪), বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন। জন্ম ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে। তার পৈত্রিক বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার (অধুনা ওসমানী নগর উপজেলা) দয়ামীরে। তার পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান, মাতা জোবেদা খাতুন। খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছেলে ওসমানী। ওসমানীর জন্মের প্রাক্কালে ১৯১৮ সালে খান বাহাদুর মফিজুর রহমান তৎকালীন আসামের সুনামগঞ্জ সদর মহকুমায় সাব-ডিভিশনাল অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন৷ তাদের বসবাস ছিল সুনামগঞ্জ সদরেই। এখানেই জন্ম হয় ওসমানীর। শিক্ষা পিতার চাকরির সূত্রে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। তাই কিছুদিন পর বদলির আদেশ নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে চলে যেতে হয় গোহাটিতে৷ আর সেখানেই ওসমানীর প্রাথমিক শিক্ষার শুরু হয়৷ ১৯২৩ সালে 'কটনস্ স্কুল অব আসাম'-এ ভর্তি হন তিনি ৷ লেখাপড়ায় যে তিনি খুবই মনোযোগী ছিলেন, তার প্রমাণ হলো স্কুলের প্রত্যেক পরীক্ষায় তিনি প্রথম হতেন৷ ১৯৩২ সালে ওসমানী সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট হাই স্কুল এ ভর্তি হন ৷ তৎকালীন সময়ে সিলেটের এই স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল৷ ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন অসাধারণ কৃতিত্বের সাথে৷ সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান লাভ করেন৷ এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার এম. এ. জি. ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করে। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৩৮ সালে। সেনাবাহিনীর জীবন thumb|250px|১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী এই জিপটি ব্যবহার করে বিভিন্ন যুদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ওসমানী তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন৷ ১৯৩৯ সালে তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। দেরাদুনে ব্রিটিশ - ভারতীয় মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে। সেসময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিলো। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার হিসেবে তিনি বার্মা (মিয়ানমার) সেক্টরে কাজ করেন। ১৯৪২ সালে মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ মেজর। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে ওসমানী ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে লং কোর্স পরীক্ষা দিয়ে উচ্চস্থান লাভ করেন৷ সে বছর তিনি ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল সার্ভিসের জন্যও মনোনীত হন৷ কিন্তু তিনি সামরিক বাহিনীতেই থেকে যান৷ দেশবিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ই অক্টোবর ওসমানী পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এসময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেলের। ১৯৪৯ সালে তিনি চীফ অফ জেনারেল স্টাফের ডেপুটি হন। ১৯৫১ সনে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন৷ এর পর তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাস প্রতিষ্ঠা করেন৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সাথে পালন করেন৷ পরবর্তীকালে তিনি ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্ট এর ৯ম ব্যাটেলিয়ানের রাইফেলস কোম্পানির পরিচালক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই.পি.আর.)-এর অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট, সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ অফিসার প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করেন এবং সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের জেনারেল স্টাফ এন্ড মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন৷ 'ডেপুটি ডাইরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশন' হিসেবে যুদ্ধরত বিভিন্ন সামরিক হেড কোয়ার্টারে যোগাযোগ করতেন তিনি ৷ পাক-ভারত যুদ্ধ যখন শেষ হয় তখন তার বয়স চল্লিশের উপরে৷ ১৯৬৬ সালের মে মাসে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসরকালীন ছুটি নেন এবং পরের বছর (১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) অবসর গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে '৭০-এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। থাম্ব|জেনারেল ওসমানীর নামে প্রবর্তিত ডাকটিকিট মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ১১ এপ্রিল (১৯৭১) প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন৷ ঐ ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন৷ উল্লেখ্য যে ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারী ও সরকার গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। ওসমানী'র নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয়সাধন করা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখা, অস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করা, গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা - প্রভৃতি কাজ সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী। ১২ এপ্রিল থেকে এম. এ. জি. ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷ রণনীতির কৌশল হিসেবে প্রথমেই তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনা করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে নেন এবং বিচক্ষণতার সাথে সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ছিল দক্ষ এবং সংখ্যায় অনেক বেশি৷ এই বিবেচনায় ওসমানীর রণকৌশল ছিল প্রথমে শত্রুকে নিজেদের ছাউনিতে আটকে রাখা এবং তাদেরকে যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যম হতে বিছিন্ন করে রাখা৷ এজন্য এম. এ. জি. ওসমানী মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ পরিচালনা করেন৷ মে মাসের পর তার মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে শত্রুকে ছাউনিতে আটকে রাখা গেলেও ধ্বংস করা সম্ভব নয়৷ এ বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়ে যুদ্ধে কৌশলগত পরিবর্তন আনেন৷ প্রাক্তন ইপিআর এর বাঙালি সদস্য, আনসার, মোজাহেদ, পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে একটি গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী গঠন করেন। মুক্তির সংগ্রামে এমএজি ওসমানীর হাতে কোনো নৌবাহিনী ছিল না। তবে নিয়মিত নৌবাহিনীর কিছু অফিসার এমএজি ওসমানীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন৷ তাছাড়া ফ্রান্সের জলাভূমিতে থাকা পাকিস্তানের ডুবোজাহাজের কিছু সংখ্যক কর্মীও মুক্তিবাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন৷ কিছুদিন পর এম এ জি ওসমানী তাদের এবং কিছু সংখ্যক গেরিলা যুবক নিয়ে একটি নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠন করেন। আগস্টের মাঝামাঝিতে তারা নদীপথে শত্রুর চলাচল প্রায় রুদ্ধ করে দেন। নৌবাহিনী গঠনের ফলে একটা বড় ধরনের সংকটের অবসান হলেও দেশ স্বাধীন হবার আগে আগে আরও একটা সঙ্কট এম এ জি ওসমানী অনুভব করেন। সেটা হচ্ছে তার হাতে কোনো বিমানবাহিনী ছিল না। শেষের দিকে দুটি হেলিকপ্টার, ও একটি অটার আর তার নিজের চলাচলের জন্য একটি ডাকোটা নিয়ে ছোট্ট একটি বিমানবাহিনী গঠন করেছিলেন তিনি৷ পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ পাকিস্তানি বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট.জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সৈন্যবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান। যুদ্ধ-পরবর্তী জীবন ১৯৭১ সালের ২৬শে ডিসেম্বর তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেনারেল পদমর্যাদা (অক্রিয়) প্রদান করা হয় এবং তিনি নব দেশের প্রথম সশস্ত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্তি পান। ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি তার এ দায়িত্ব থেকে অবসর নেন, মন্ত্রিসভায় যোগ দেন অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে। ১৯৭৩ সালের মার্চে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ঐ নির্বাচনে ওসমানী তার নিজের এলাকা থেকে অংশ নেন এবং নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করেন৷ ১৯৭৩ এর নির্বাচনে ওসমানী ৯৪ শতাংশ ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন৷ ডাক, তার, টেলিযোগাযোগ, অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন। ১৯৭৪ সালের মে মাসে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। সেবছর ২৯শে আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান, তবে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওসমানী 'জাতীয় জনতা পার্টি' নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৭৮ ও ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ৩রা জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে মোট ১০জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেনঃ ১। জনাব আজিজুল ইসলাম ২। জনাব আবুল বাশার ৩। প্রিন্সিপাল এ, হামিদ (এম.এস.সি) ৪। হাকিম মাওলানা খবিরুদ্দিন আহমেদ ৫। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান (বি,ইউ, পি,এস,সি) ৬। জেনারেল (অবঃ) মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানি ৭। জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ ৮। জনাব মোঃ গোলাম মোর্শেদ ৯। শেখ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ১০। সৈয়দ সিরাজুল হুদা ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জেনারেল (অবঃ) এম.এ.জি. ওসমানী অংশ নেন। তিনি জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মনোনীত হয়েছিলেন,গণ ঐক্য জোট এবং ৫টি রাজনৈতিক জোটের যথাঃ জাতীয় জনতা পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় আওয়ামী পার্টি (মোজাফ্ফর), বাংলাদেশ পিপলস লীগ, গণ আজাদী লীগ। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ঐ নির্বাচনে জয়লাভ করেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার। প্রয়াণ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন থাকাকালীন ১৯৮৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি এমএজি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়। স্বীকৃতি thumb|right|300px|দূর থেকে ওসমানী মেমোরিয়াল হলের ছবি। তার স্মরণে ঢাকায় ‘ওসমানী উদ্যান’ গড়ে উঠেছে ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিপরীতে ‘ওসমানী মেমোরিয়াল হল’ স্থাপিত হয়েছে৷ এছাড়া তার সিলেটস্থ বাসভবনকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে সিলেট শহরে তার নামে একটি মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে৷ আরও দেখুন ওসমানী জাদুঘর। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ নিউএজ এর নিবন্ধঃ জেনারেল ওসমানী, দ্যা জেন্টেলম্যান সোল্‌জার দৈনিক সমকাল এর নিবন্ধঃ বঙ্গবীর ওসমানী:আমাদের নায়ক বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা বিষয়শ্রেণী:১৯১৮-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৪-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়শ্রেণী:সিলেট জেলার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বাঙালি মুসলমান বিষয়শ্রেণী:বাঙালি রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মন্ত্রী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জেনারেল বিষয়শ্রেণী:শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য বিষয়শ্রেণী:প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য বিষয়শ্রেণী:মুক্তিবাহিনীর কর্মকর্তা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তিবর্গ
মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
পুনর্নির্দেশ কমলা লেবু
কমলা(ফল)
সিউল বা স্থানীয় কোরীয় উচ্চারণে সউল ( সউল্‌; ) এশিয়া মহাদেশের উত্তর-পূর্বভাগে অবস্থিত রাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী ও প্রধান নগরী। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অংশে হান নদীর তীরে অবস্থিত। সিউল নগরকেন্দ্র থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে পীত সাগর অবস্থিত। শহরটি উত্তর কোরিয়ার সাথে সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সিউল শহরটি দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রশাসন ও শিল্পকারখানার প্রাণকেন্দ্র। শহরটির মোট আয়তন প্রায় ৬০০ বর্গকিলোমিটার এবং এখানে প্রায় ১০ লক্ষ লোক বাস করে। সিউল শহরটি দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে ১৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৩৯৪ সাল থেকে সিউল শহরটি অবিভক্ত কোরিয়ার রাজধানী ছিল। কোরীয় ভাষাতে "সউল" শব্দের অর্থ "রাজধানী। শহরটি সরকারীভাবে হানসোং (১৯১১ সাল পর্যন্ত) বা কিয়োনসোং (১৯১১ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত) নামে পরিচিত হলেও সাধারণ লোকেরা এটিকে "সউল" বলেই ডাকত। ১৯৪৫ সালে জাপানি ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তিলাভের পর শহরটির নাম সরকারীভাবে "সউল" বা সিউল রাখা হয়। ১৯৪৮ সালে দুই কোরিয়া বিভক্ত হয়ে গেলে সিউল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে পরিণত হয়। সিউল শহরটি পর্বত দিয়ে ঘেরা। সবচেয়ে উঁচু পর্বতটি হল শহরের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত বুখানসান পর্বত (উচ্চতা ৮৩৬ মিটার)। পূর্ব থেকে পশ্চিমদিকে প্রবহমান হান নদীটি শহরকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। সিউলের ব্যবসাবাণিজ্যিক এলাকাগুলি শহরের কেন্দ্রে ও হান নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। কলকারখানাগুলি শহরের পশ্চিম অংশে (বিশেষ করে ইয়েওংদেউংপো এলাকাতে) অবস্থিত। অন্যদিক অপেক্ষাকৃতি নিম্নবিত্ত আবাসিক এলাকাগুলি শহরের পূর্ব অংশে অবস্থিত। শহরের উত্তর অংশটি পর্বতময় এবং এখানে অনেক উদ্যান ছাড়াও রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ বা চোংওয়াদায়ে (নীল বাড়ি) অবস্থিত। সিউলের জলবায়ু মহাদেশীয় প্রকৃতির। এখানে চারটি ঋতু বিদ্যমান। গ্রীষ্মকালগুলি গরম ও আর্দ্র এবং শীতকালগুলি শীতল ও তুলনামূলকভাবে শুষ্ক। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয়। বর্তমানে সিউল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শহর হিসেবে পরিগণিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে শহরটির বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থান ঘটে। জাপানের টোকিও এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহর ও লস অ্যাঞ্জেলেসের পরে সিউল শহরের অর্থনীতি বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম নগর অর্থনীতি। সামসুং, এলজি এবং হিউন্দাইয়ের মত বৃহৎ পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি শহরের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। শহরটি ১৯৮৮ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এবং যৌথভাবে ২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করে। সিউল শহরে প্রতি বছর ১ কোটিরও বেশি পর্যটক বেড়াতে আসে। ফলে এটি বিশ্বের ৯ম সর্বোচ্চ দর্শিত শহর। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:সিউল বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বিষয়শ্রেণী:এশিয়ার রাজধানী
সিউল
মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের সংবহন তন্ত্র দেখা যায়। রক্ত সংবহন তন্ত্র: হৃৎপিন্ড ও রক্তনালীর সাহায্যে রক্ত সারা দেহে সঞ্চালিত হয়। লসিকাতন্ত্র: কলা ও রক্ত প্রবাহের মধ্যে লসিকা (লিম্ফ) আদান-প্রদানের কজে নিয়োজিত, যা লসিকা এবং লসিকাগ্রন্থি ও লসিকানালী দ্বারা সম্পন্ন হয়; এর সাথে অনাক্রম্যতন্ত্র (প্রতিরক্ষাতন্ত্র)ও জড়িত যা শ্বেতকনিকা, টনসিল, এ্যাডেনয়েড, থাইমাস ও প্লীহা (স্প্লিন) এর সাহায্যে রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে। পরিপাকতন্ত্র: লালাগ্রন্থি, ইসোফেগাস(অন্ননালী), পাকস্থলী, যকৃৎ, পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয়, অন্ত্র (ইন্টেস্টাইন) সমূহ, মলাশয় ও পায়ু দ্বারা খাদ্য পরিপাক ও প্রক্রিয়াজাত করা হয়। অন্তঃক্ষরা তন্ত্র: অন্তঃক্ষরা (এন্ডোক্রাইন) গ্রন্থিসমূহ যেমন- হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারী, পিনিয়াল বডি, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড এবং অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিসমূহ হতে উৎপন্ন হরমোন দ্বারা দেহের বিভিন্ন কার্যাদি সম্পন্ন হয়। আচ্ছাদন তন্ত্র: ত্বক, চুল, নখ। পেশীতন্ত্র: পেশীর সাহায্যে নড়াচড়া করা হয়। স্নায়ুতন্ত্র: মস্তিষ্ক,মেরুদন্ড,সুষুম্না স্নায়ু ও প্রান্তীয় স্নায়ু সমূহের দ্বারা তথ্য সংগ্রহ, প্রেরন ও প্রক্রিয়াকরন করা হয়। প্রজননতন্ত্র: যৌনাঙ্গ সমূহ। শ্বসনতন্ত্র: শ্বাস-প্রশ্বাসের অন্ত্র সমূহ- ফ্যারিংক্স, ল্যারিংক্স, ট্রাকিয়া, ব্রংকাই, ফুসফুস এবং মধ্যচ্ছদা। কঙ্কালতন্ত্র: হাড়, তরুনাস্থি, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের মাধ্যমে দৈহিক গঠন ও প্রতিরক্ষার কাজে নিয়জিত। রেচনতন্ত্র: তরল ভারসাম্য, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ও মূত্র নিষ্কাশনের কাজ বৃক্ক (কিডনি), গবিনী (ইউরেটার), মুত্রথলি এবং মূত্রনালী (ইউরেথ্রা) করে থাকে। বিষয়শ্রেণী:সংবহনতন্ত্র বিষয়শ্রেণী:বাহবিজ্ঞান
সংবহন তন্ত্র
বাকু () আজারবাইজানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। শহরটি আজারবাইজানের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে আবসেরোন উপদ্বীপে কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত। শহরটির কাছেই কাস্পিয়ান সাগরে অনেকগুলি তৈলক্ষেত্র রয়েছে। তৈল পরিশোধন তাই শহরটির প্রধান শিল্প। বাকুর নিকট থেকে উৎসারিত পাইপলাইন দিয়ে সুপসা, জর্জিয়া, নভোরসিয়িস্ক ও রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর-তীরবর্তী বন্দরগুলিতে এবং তুরস্কের ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর সেইহানে তেল সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও বাকুতে লোহার কেবল, তুলা, চামড়া ও খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত কারখানা আছে। ইতিহাস বাকু শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এলাকাটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এর নাম ইচেরি শেহ্‌র অর্থাৎ ভেতরের শহর। ২০০০ সালে ইউনেস্কো ইচেরি শেহ্‌রকে একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে মর্যাদা দেয়। এই এলাকাটিতে জরুথুষ্ট্র, সসনিয়, আরবি, পারসিক, শির্বানি, উসমানীয় ও রুশ সংস্কৃতির চিহ্ন বহনকারী স্থাপত্য ও বসতিবিন্যাসের এক অদ্বিতীয়, দুর্লভ সম্মিলন ঘটেছে। ইচেরি শেহ্‌রের প্রতিরক্ষা প্রাচীরগুলি ১২শ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এখানকার সরু ঘোরানো রাস্তাগুলি দিয়ে অনেকগুলি ঐতিহাসিক স্থানে যাওয়া যায়, যাদের মধ্যে আছে ১২শ শতকে নির্মিত একটি মিনার, উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি বড় পাথরের দুর্গ, ১৫শ শতকে নির্মিত শির্ভান শাহ প্রাসাদ (বর্তমানে একটি জাদুঘর), এবং ১১শ শতকের সিনিক-কালা মিনার ও মসজিদ। ইচেরি শেহ্‌রের প্রাচীরের বাইরে পাহাড়ের ঢালে কাস্পিয়ান সাগরের দিকে মুখ করে অনেক আধুনিক দালানকোঠা গড়ে উঠেছে। আধুনিক বাকু শহরের দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে আছে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বাকু সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, একটি অপেরা ভবন, এবং অনেকগুলি নাট্যমঞ্চ ও জাদুঘর। ১৯৬৭ সালে শহরে একটি পাতাল রেল ব্যবস্থা চালু করা হয়। প্রাচীনকালে রেশম পথের উপর অবস্থিত একটি বন্দর ও বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে বাকুর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এটি পারস্য সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়। ৭ম শতকের শেষ পর্যায়ে আরবেরা অঞ্চলটি দখল করে এবং সেখানে ইসলাম প্রবর্তন করে। ১২শ শতকের শুরুর দিকে বাকু শিরভান রাজ্যের শাসক শাহদের রাজধানীতে পরিণত হয়। কিন্তু সেলজুক ও মঙ্গোলেরা ক্রমাগত তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালায়। ১৫শ শতকে শির্ভান শাহেরা বাকুতে একটি বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করেন। ১৬শ শতকের শুরুতে বাকু সাফাভিদ রাজত্বের অধীনে আসে। সাফাভিদেরা ইরান শাসন করতেন। ১৭২৩ সাল পর্যন্ত বাকু সাফাভিদদের দখলে ছিল। ঐ বছর রুশেরা শহরটি দখলে নেয়। ১৭৩৫ সালে শহরটি সাফাভিদদের ফেরত দেয়া হয়, কিন্তু শিঘ্রই তাদের পতন ঘটে এবং বাকুতে একটি তুর্কি মুসলিম খানাত প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০৬ সালে বাকুকে আবারও রুশ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। ১৮৭০-এর দশকে এখানে বড়-আকারের তেল উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১৯শ শতকের শুরুতে শহরটি রাশিয়ার প্রায় সমস্ত তেলের সরবরাহ করত। রাশিয়ার তেল শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে বাকু দ্রুত শিল্পায়িত হয় এবং এখানকার জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শহরে প্রচুর রুশ ও আর্মেনীয় অভিবাসী হন এবং শহরের জনগণ জাতিগতভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯০৫ সালে শহরের আজারবাইজানি ও আর্মেনীয় জাতির লোকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত বাকু স্বাধীন আজারবাইজানের রাজধানী ছিল। স্বাধীন আজারবাইজান ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার বলশেভিক শাসনের বিরোধী। ১৯২০ সালে সোভিয়েতরা শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ১৯২২ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত বাকু নবসৃষ্ট আন্তঃককেশীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ছিল। এরপর এটি আজারবাইজান সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের রাজধানী হয়। ১৯৯১ সালে আজারবাইজান একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হলে বাকু এই নতুন রাষ্ট্রেরও রাজধানী হয়। ১৯৯৪ সালে বাকু সন্ত্রাসী হামলা ও সরকারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তেল শিল্পের প্রসারের সাথে সাথে শহরটির দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। ভূগোল বাকু ক্যাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত। শহরের আশেপাশে প্রচুর গলিত আগ্নেয়গিরি (কেরাকী, বোগখ-বোগখা, লোকবাতান এবং অন্যান্য) এবং লবণের হ্রদ (বায়ুশোর, খোদাশান ইত্যাদি) রয়েছে। জনসংখ্যা ১৯৮৮ সাল অবধি রুশ, আর্মেনীয় এবং ইহুদি জনগোষ্ঠী বাকুর অনেক বড় অংশ ছিল যা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে অবদান রেখেছিল এবং বাকুর ইতিহাসে বিভিন্ন উপায়ে (সংগীত, সাহিত্য, স্থাপত্য এবং প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি) যুক্ত করেছিল। কারাবাখ যুদ্ধের সূচনা এবং ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে আর্মেনিয়ানদের বিরুদ্ধে পোগ্রোম শুরু হওয়ার সাথে সাথে, শহরের বিশাল আর্মেনিয়ান জনগণকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কমিউনিজম আগ্রাসনের অধীনে সোভিয়েতরা বাকু ও কুবার বেশিরভাগ ইহুদি সম্পত্তি দখল করেছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে আজারবাইজানীয় রাষ্ট্রপতি হায়দার আলিয়েভ বেশ কয়েকটি সিনাগগ এবং সোভিয়েতদের দ্বারা জাতীয়করণ করা একটি ইহুদি কলেজ ইহুদি সম্প্রদায়কে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এই ভবনগুলি পুনরুদ্ধার করতে উত্সাহিত করেছিলেন এবং আজারবাইজানের ইহুদিদের নিকট এটি বেশ পছন্দ করেছে। ১৮৯৬ সালে নির্মিত গিলাহ সিনাগগ এবং বৃহৎ ক্রুয়েই সিনাগগ সহ মূল ১১টি সিনাগগের নতুনভাবে সংস্কার শুরু হয়েছে। বাকুর মহানগরে বহু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় হল মুসলমান। মুসলমানদের বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম, এবং আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র ইরানের পরে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিয়া জনসংখ্যার দেশ। শহরের উল্লেখযোগ্য মসজিদগুলির মধ্যে রয়েছে জুমা মসজিদ, বিবি-হায়াবত মসজিদ, মুহাম্মদ মসজিদ এবং তাজা পীর মসজিদ। দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে আরো কিছু ধর্মবিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে আজারবাইজান একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে রয়েছে রুশ অর্থোডক্স খ্রিস্টান, ক্যাথলিক লেভানটাইনস, জর্জিয়ান অর্থোডক্স খ্রিস্টান, লুথারানস, আশকানাজি ইহুদি এবং সুফি মুসলমানরা। জোরোস্ট্রু্বাদ যদিও বর্তমান সময়ের মধ্যে এই শহরের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বিলুপ্ত হয়েছে, তারপরে আজারবাইজান এবং জোরোস্ট্রিয়ান নববর্ষ (নওরোজ) শহরে এবং অন্যান্য অঞ্চলে প্রধান ছুটির দিন ও উৎসব হিসাবে এখনও পালিত হয়। শিক্ষা বাকু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, জুনিয়র কলেজ এবং ভোকেশনাল স্কুল রয়েছে। বাকু স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, আজারবাইজানের প্রথম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়, এটি ১৯১৯ সালে আজারবাইজান ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক সরকার চালু করেছিল। সোভিয়েত শাসনামলের প্রথম দিকে, বাকুতে আজারবাইজান স্টেট অয়েল একাডেমি, আজারবাইজান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আজারবাইজান স্টেট ইকোনমিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যেমন আজারবাইজান কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়, আজারবাইজান ভাষা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আজারবাইজান আর্কিটেকচার এবং নির্মাণ বিশ্ববিদ্যালয়। বাকুর দৃশ্যাবলি আরও দেখুন বাকু মেট্রো তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ World Gazetteer বাকুর হোটেলগুলো বাকুর শহর সহায়িকা বাকু এবং তার জনগণের সম্বন্ধে তথ্য আজারবাইজানের কোম্পানিগুলো আজারবাইজানের ভ্রমণের তথ্য UNESCO World Heritage Site listing Walled City of Baku বিষয়শ্রেণী:আজারবাইজানের শহর বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাজধানী
বাকু
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০তম শতাব্দী শুরু হয়েছিলো খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে এবং সমাপ্ত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৩৯০১ অব্দে। এই সময় নিকট প্রাচ্য এবং দক্ষিণপূর্ব ইউরোপে চলছিলো 'ক্যালকোলিথিক যুগ' (প্রস্তর ও ব্রোঞ্জ যুগের মধ্যবর্তী 'কপার যুগ') এবং উত্তরপূর্ব ইউরোপে ছিলো 'নিওলিথিক যুগ'। সংস্কৃতি নিকট প্রাচ্য প্রাগৈতিহাসিক মিশরে এল ওমরি সংস্কৃতির পতন ঘটে। নাকাডা সংস্কৃতির সূচনা। মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে উরুক যুগের উদ্ভব ঘটে। ইউরোপ পূর্ব এশিয়া লিয়্যাংঝু সংস্কৃতি। জাপান দ্বীপে জুমুন যুগ শুরু। ঘটনাবলী এবং উদ্ভাবন পঞ্জিকা বেদ বিশ্ব সম্পর্কিত ইতিহাস শুরু করে খ্রিষ্টপূর্ব ৩৯৫২ অব্দ হতে। তথ্যসূত্র -০ বিষয়শ্রেণী:শতাব্দী
খ্রিস্টপূর্ব ৪০তম শতাব্দী
আঙ্কারা () পশ্চিম এশিয়ার রাষ্ট্র তুরস্কের রাজধানী শহর। নগর কেন্দ্রে ৪,৫৮৭,৫৮৮ জন (২০১৪ সালে) এবং এর প্রদেশে ৫,১৫০,০৭২ জন (২০১৫ সালে) জনসংখ্যা নিয়ে এটি তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে (সাবেক রাজকীয় রাজধানী ইস্তানবুলের পরেই) পরিণত হয়েছে, এটি ২০শ শতাব্দীতে জনসংখ্যায় ইজমিরকে ছাড়িয়ে গেছে। ১৯২০ সালের ২৩ শে এপ্রিল তুরস্কের গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বিলিতে আঙ্কারা রাজধানী শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের সময় তুরস্কের স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকালে আতার্তুকের সদরদপ্তরে পরিণত হয়েছিল। ওসমানী সাম্রাজের পতনের পর ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে আঙ্কারা ইস্তানবুলের পদানুবর্তীতে নতুন তুর্কি রাজধানীর মর্যাদা পায়। এখানকার অধিবাসীদের অধিকাংশই সরকারি কাজে নিয়োজিত, সরকার এখানকার একজন বিশিষ্ট্য নিয়োগকর্তা, কিন্তু আঙ্কারা তুরস্কের সড়কপথ এবং রেলওয়ে নেটওয়ার্কের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও শিল্প নগরী। আংকারা শহর দীর্ঘ লোমবিশিষ্ট ছাগলের জন্য বিখ্যাত ছিল যা অ্যাঙ্গোরা ছাগল নামে পরিচিত। তাছারা এটি দীর্ঘ লোমবিশিষ্ট বিড়াল বা খরগোস এবং নাসপতি, মধু, আঙ্গুরের জন্য বিখ্যাত। আঙ্কারা ঐতিহাসিক কেন্দ্র শিলাময় পর্বতের উপর অবস্থিত , যা আঙ্কারা Çayı, Sakarya (Sangarius) নদীর একটি উপনদী তীরে বাঁদিকে অবস্থিত উপর ১৫০ মিটার (৪৯২ ফুট) সমভূমির উপর অবস্থিত। ইতিহাস প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজের পরাজয়ের পর, অটোমানের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল (আধুনিক ইস্তানবুল) এবং আনাতোলিয়ার বেশিরভাগ অংশ মিত্রদের দখলে ছিল, তুরস্কের কেন্দ্রীয় আনাতোলিয়ার মূল অংশটি ছেড়ে বাকী অংশ আর্মেনিয়া, ফ্রান্স, গ্রীস, ইতালি এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এর প্রতিবাদ হিসেবে, তুর্কি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা মোস্তফা কামাল আতাতর্ক ১৯২০ সালে অ্যাঙ্গোরায় তার প্রতিরোধ আন্দোলনের সদর দফতর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তুর্কির স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ের পর লাউসান চুক্তি (১৯২৩) দ্বারা সেভ্রে চুক্তির রহিত হয়, তুর্কি জাতীয়তাবাদীরা ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর অটোমান সাম্রাজ্যকে তুর্কি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। এর কিছু দিন আগে, ১৯২৩ সালের ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাঙ্গোরা থেকে কনস্টান্টিনোপলে তুরস্কের নতুন রাজধানী স্থানান্তরিত করে এবং রিপাবলিকান কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছিলেন যে শহরের নাম আঙ্কারা। ভূগোল আঙ্কারায় গরম-গ্রীষ্মকালীন ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু (কোপেন সিএসএ) বিরাজমান যা একটি গরম-গ্রীষ্মকালীন ভূমধ্যসাগরীয় মহাদেশীয় জলবায়ু (কোপেন ডিএসএ) অত্যন্ত নিকটবর্তী। ট্রিওয়ার্থ জলবায়ু শ্রেণীর বিন্যাস অনুসারে, আঙ্কারা মধ্য অক্ষাংশ প্রতিরক্ষা জলবায়ুর (বিএসকে) অন্তর্গত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা এবং অভ্যন্তরীণ অবস্থানের কারণে, আঙ্কারা শীতকালে ঠান্ডা ও কিছুটা তুষারাবৃত এবং গ্রীষ্মকালে গরম ও শুষ্ক থাকে। গ্রীষ্ম ও বসন্তকালে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। আঙ্কারা ইউএসডিএ হার্ডনেস জোন ৭বিতে অবস্থিত এবং এর বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৪০০ মিলিমিটারের (১৬ ইঞ্চি) তুলনায় বেশ কম, তবুও সারা বছর বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায়। মাসিক গড় তাপমাত্রা জানুয়ারীতে ০.৩° ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩২.৫° ফারেনহাইট) থেকে জুলাই মাসে ২৩.৫° ডিগ্রি সেলসিয়াস (৭৪.৩° ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকে এবং বার্ষিক গড় ১২.০২° ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫৩.৬° ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকে। জনসংখ্যা ১৯২৭ সালে আঙ্কারার জনসংখ্যা ছিল ৭৫,০০০ জন। ২০১৩ সালে আঙ্কারা প্রদেশের জনসংখ্যা ছিল ৫,০৪৫,০৮৩ জন। ১৯২৩ সালে আঙ্কারা যখন তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী হয়ে ওঠে, তখন এটি ভবিষ্যতের ৫০০,০০০ বাসিন্দাদের জন্য একটি পরিকল্পিত শহর হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। ১৯২০-এর দশক, ১৯৩০-এর দশক ও ১৯৪০-এর দশকে শহরটি একটি পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল গতিতে বৃদ্ধি পায়। তবে, ১৯৫০-এর দশকের পর থেকে, শহরটির জনসংখ্যা কল্পনা থেকেও অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল, কারণ বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য মানুষকে উন্নত জীবনযাত্রার সন্ধানে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। ফলস্বরূপ, জেসেকানডু নামে অনেক অবৈধ বাড়ি শহরের চারপাশে নির্মিত হয়েছে, যার ফলে আঙ্কারার অপরিকল্পিত এবং অনিয়ন্ত্রিত নগরীর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত আবাসন দ্রুত পর্যায় তৈরি সম্বব হয়নি। যদিও তা নির্ভুলভাবে নির্মিত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগেরই বিদ্যুৎ, চলমান জল এবং আধুনিক গৃহস্থালী সুবিধা রয়েছে। রাজনীতি আঙ্কারা তিনটি দলের একটি ট্রিপল যুদ্ধক্ষেত্র, যা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি), বিরোধী কামালবাদী কেন্দ্র-বাম রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এবং জাতীয়তাবাদী সুদূর-ডান ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) এর মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। আঙ্কারা প্রদেশটি ২৫ টি জেলায় বিভক্ত। আঙ্কারায় সিএইচপির প্রধান ও একমাত্র রাজনৈতিক ঘাটি কানকায়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত, যা শহরের সবচেয়ে জনবহুল জেলা। ২০০২ সাল থেকে কনকায়ায় সিএইচপি সর্বদা ৬০% থেকে ৭০% ভোট পেয়েছে, আঙ্কারার অন্যত্র এদের রাজনৈতিক সমর্থন খুব কম। শিক্ষা আঙ্কারায় তুরস্কের রাজধানী হ‌ওয়ায় বহু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয় টেড বিশ্ববিদ্যালয় বাসকেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিলকেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় গাজী বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাজধানী বিষয়শ্রেণী:তুরস্কের শহর
আঙ্কারা
লিথুয়ানিয়া (লিথুয়ানীয়: Lietuva লিয়েতুভা) উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। উত্তরের লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার সাথে লিথুয়ানিয়াও একটি বাল্টিক রাষ্ট্র এবং তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তম। ভিল্‌নিয়ুস দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী এবং এটি বেলারুশের সাথে সীমান্তে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। লিথুয়ালিনয়া বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলে সুইডেনের বিপরীত তীরে অবস্থিত। এর উত্তর সীমান্তে লাটভিয়া, পূর্ব ও দক্ষিণে বেলারুশ, দক্ষিণ-পশ্চিমে পোল্যান্ড ও কালিনিনগ্রাদ ওবলাস্ত নামক রুশ ছিটমহল। লিথুয়ানিয়া অরণ্য, নদী ও হ্রদে পরিপূর্ণ। জনসংখ্যার বেশির ভাগই জাতিগতভাবে লিথুয়ানীয় এবং রোমান ক্যাথলিক গির্জার সদস্য। এছাড়া এখানে রুশ ও পোলীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বাস করেন। কিছু কিছু লিথুয়ানীয় কালিনিনগ্রাদকে লিথুয়ানিয়ার অন্তর্গত দেখতে চান। লিথুয়ানিয়া একসময় অনেক বড় একটি দেশ ছিল। বর্তমান বেলারুশ ও ইউক্রেনের অধিকাংশ এলাকা এর অধীনে ছিল। ১৯১৮ সালে একটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিলেও ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এটি দখলে নিয়ে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি সাম্যবাদী সরকারের অধীনে প্রায় ৪ দশক ধরে পরিচলিত হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েতদের পতনের পর দেশটি আবার স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯২ সালে দেশটিতে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ১৯৯০-এর দশকে দেশটি অর্থনীতি বিরাষ্ট্রীয়করণে মনোযোগ দেয়। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব সমস্যা ভয়াবহ রূপ লাভ করে। ২১শ শতকে এসে লিথুয়ানিয়া ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করেছে। ইতিহাস রাজনীতি প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল অর্থনীতি জনসংখ্যা সংস্কৃতি আরও দেখুন বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাষ্ট্র বিষয়শ্রেণী:লিথুয়ানিয়া বিষয়শ্রেণী:জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র
লিথুয়ানিয়া
পুনর্নির্দেশ আলী আকবর খাঁ
ওস্তাদ আলী আকবর খান
উরুগুয়ে (স্পেনীয় ভাষায় Uruguay উরুগুয়াই) দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে অবস্থিত একটি দেশ। এটি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ (সুরিনাম ক্ষুদ্রতম)। দেশটির সরকারি নাম পূর্ব উরুগুয়ে প্রজাতন্ত্র (República Oriental del Uruguay রেপুব্লিকা ওরিয়েন্তাল্‌ দেল্‌ উরুয়াই [re'puβ̞lika oɾjen'tal del uɾu'ɰwaj]। উপকূলীয় শহর মোন্তেবিদেও উরুগুয়ের রাজধানী ও প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র। ১৯শ শতকের শুরু পর্যন্ত উরুগুয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় স্পেনীয় সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল। এরপর কিছুকাল এটি পর্তুগিজদের অধীনে ছিল। ১৮২৮ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। উরুগুয়ের সংস্কৃতিতে স্পেনীয় ঔপনিবেশিক ঐতিহ্যের বড় প্রভাব পড়েছে। এখানকার সরকারি ভাষা স্পেনীয় ভাষা। উরুগুয়েতে নগরায়নের হার উচ্চ। প্রায় ৯০% জনগণ শহরে বাস করেন। ৪০%-এরও বেশি লোক রাজধানী মোন্তেবিদেওতে বাস করেন। উরুগুয়ের বেশির ভাগ লোক ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। পর্যটন শিল্প উরুগুয়ের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। দেশটির ছবির মতো সুন্দর সমুদ্রসৈকতগুলি সারা বিশ্বের পর্যটকেরা বেড়াতে আসেন। কৃষিকাজ ও গবাদি পশু পালন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ইতিহাস উপনিবেশিক শাসন(১৫১২ - ১৮১১) স্বাধীনতা আন্দোলন(১৮১১-১৮৩০) গৃহ যুদ্ধ(১৮৩৯-১৮৫১) গণ অভিবাসন(১৮৫১-১৮৮০) জরুরি অবস্থা(১৯৬৮-১৯৮৪) রাজনীতি প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ ভূগোল অর্থনীতি স্প্যানিশ উপনিবেশের প্রভাব থাকায় অন্নান্য পশ্চিম ল্যাটিন আমেরিকান দেশগুলোর মতো এখানে পেসো মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। গড়ে ১ পেসো = ২ রুপি বা ৩ টাকা। ৫৬ - ৫৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের স্থুল আভ্যন্তরীণ উৎপাদন-এর ভিত্তিতে দেশটি ৭৫তম স্থানে রয়েছে। যা ক্রোয়েশিয়া-র থেকে বেশি। . এখানথেকে মূলত খাদ্যদ্রব্য , খাদ্যশস্য ব্রাজিল , চীন , আর্জেন্টিনা ও জার্মানিতে রপ্তানি হয়। তেল ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী আমদানি হয় চীন , আর্জেন্টিনা , ব্রাজিল , যুক্তরাষ্ট্র ও প্যারাগুয়ে থেকে। জনসংখ্যা সংস্কৃতি খেলাধুলা এখানে ফুটবল খুব জনপ্রিয়। প্রথম বিশ্বকাপ জেতে এই দেশ। জাতীয় দলে খেলা দিয়াগো ফোরলান ও এমিলিয়ানো আলফারো ভারতীয় উপমহাদেশে খেলে গেছেন। আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:উরুগুয়ে
উরুগুয়ে
টালাহাসি (ইংরেজি: Tallahassee ট্যালাহ্যাসী) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী শহর। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর
টালাহাসি, ফ্লোরিডা
পুনর্নির্দেশ খিলাফত
খলিফা
দামোদর নদ ভারতের ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়া একটি নদী। এই নদীগর্ভ সমৃদ্ধ সম্পদে পরিপূর্ণ, এই নদী যে বিরাট অববাহিকা তৈরি করেছে যেখানে বড় বড় খনি ও শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। আগে এ দামোদর নদী কোথা থেকে বেরিয়ে এসে ছেই নদকে বলা হত 'বাংলার দুঃখ' (Sorrow of Bengal)। গঙ্গার শাখা হুগলীর উপনদী হল দামোদর। উৎস: ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছোটনাগপুর মালভূমিতে, পালামৌ জেলার টোরির নিকট উচ্চগিরি শৃঙ্গ। মোহনা: কলকাতার ৫০কি.মি. দক্ষিণে হুগলী নদীতে সঙ্গম। দৈর্ঘ্য: ৫৯২ কি.মি. উপনদী বরাকর নদী,কোনার নদ, উশ্রী, বোকারো নদী ইত্যাদি। অববাহিকা সর্পিল গতিতে বয়ে চলা দামোদরের ২৪,২৩৫ বর্গ কি.মি. বিস্তীর্ণ অববাহিকা ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পালামৌ, হাজারীবাগ, কোডার্মা, গিরিডি, ধানবাদ, বোকারো, চাতরা জেলা, এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান ও হুগলী জেলার অধিকাংশ জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের পালামৌ, রাঁচি, লোহারডগা, ও দুমকা জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলা, ও হাওড়া জেলার স্বল্প কিছু অংশও দামোদর উপত্যকার অংশ। বাংলার দুঃখ থাম্ব|দামোদর নদের বন্যাকবলিত মনশুকা গ্রাম,উদয়নারায়নপুর প্রতি বর্ষায় দামোদরের বন্যায় অনেক প্রাণ ও সম্পত্তি হানির কারণে দামোদর নদ "বাংলার দুঃখ" নামে আখ্যায়িত। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:পশ্চিমবঙ্গের নদী বিষয়শ্রেণী:গঙ্গার উপনদী
দামোদর নদ
মালদ্বীপের জাতীয় পতাকা লাল বর্ণের, এর মধ্যভাগে একটি বৃহৎ সবুজ চতুর্ভুজ আছে, যার মাঝে একটি সাদা বর্ণের নতুন চাঁদ রয়েছে। ১৯৬৫ সাল হতে প্রবর্তিত এই পতাকাটি মালদ্বীপের জাতীয় প্রতীক। বিষয়শ্রেণী:মালদ্বীপ বিষয়শ্রেণী:মালদ্বীপের জাতীয় প্রতীক
মালদ্বীপের জাতীয় পতাকা
thumb|250px|right|20px Flag ratio: 4:3 নেপালের জাতীয় পতাকা () বিশ্বের একমাত্র ত্রিভুজাকৃতির জাতীয় পতাকা। পতাকাটি দুটি একক ক্ষুদ্র পতাকার একটি সরলীকৃত সংমিশ্রণ, যা একটি দ্বৈত ক্ষুদ্র পকাকা হিসাবে পরিচিত। এটি পৃথিবীর একমাত্র অ-আয়তকার পতাকা। এর রক্তিম বর্ণ সাহসিকতা ও নেপালের জাতীয় ফুল রডোডেনড্রন ফুলের প্রতীক। নীল প্রান্ত শান্তির প্রতীক। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত, পতাকার অর্ধ চন্দ্র ও সূর্য়্যের প্রতীকে মানুষের মুখ আংকিত থাকত। পরবর্তিতে পতাকা আধুনিকায়ন করতে তা বাদ দেয়া হয়। আরও দেখুন বিষয়শ্রেণী:দেশ অনুযায়ী পতাকা বিষয়শ্রেণী:নেপাল
নেপালের জাতীয় পতাকা
গঙ্গা দেবী - হিন্দু দেবী গঙ্গা নদী - ভারত ও বাংলাদেশের অন্যতম নদী। গঙ্গা - সমরেশ বসুর একটি উপন্যাস। গঙ্গাখেদ - ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পারভানি জেলার একটি শহর । গঙ্গাছড়া উপজেলা - বাংলাদেশের রংপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। গঙ্গানগর - ভারতের রাজস্থান রাজ্যের গঙ্গানগর জেলার একটি শহর। গঙ্গাপুর - ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আউরঙ্গাবাদ জেলার একটি শহর। গঙ্গারামপুর - ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা । গঙ্গারিডাই - প্রথম খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে গি্রক ও ল্যাটিন লেখায় একটি জনগোষ্ঠী ও একটি দেশের নাম।
গঙ্গা (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
thumb|এক তারা একতারা হচ্ছে একজাতীয় বাঙালি লোকবাদ্যযন্ত্র। এক তারবিশিষ্ট বলে এটি একতারা নামে অভিহিত হয়। একসময় এর নাম 'একতন্ত্রী বীণা' ছিল বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির স্বকীয়তা আর ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় যে বাদ্যযন্ত্রটি আদি ও অকৃত্রিমভাবে বহমান রয়েছে তার নাম একতারা। এই বাদ্যযন্ত্রটির বাদন ভঙ্গি আর সুরের মূর্ছনায় আজো খুঁজে পাওয়া যায় মাটির ঘ্রান। এখনো এদেশের গ্রাম-গ্রামান্তর আর নগরে পাড়ি জমানো নগর বাউলদের কাছে শুনতে পাওয়া যায় এ বাদ্যযন্ত্রের বোল। আর মাত্র একটি তারের তৈরি এ বাদ্যযন্ত্রটি দিয়ে বাউল সাধকেরা সুরের যে বৈচিত্র্য ফুটিয়ে তোলেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। একতারার ইতিহাস একতারা আবিষ্কারের ইতিহাস সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় প্রায় ১০০০ বছর ধরে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। আর এ যন্ত্রটি যে সম্পূর্ণ আমাদের দেশের আবহতেই তৈরি হয়েছে তা এর উপকরণের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। আবার অনেক বাউল শিল্পী মনে করেন, মরমি সাধক লালন শাহের কালেই একতারার জন্ম। তারা মনে করেন ফকির লালন শাহ তার মনের ভেতর উদয় হওয়া কথাগুলো ভক্তদের মধ্যে প্রচারের সময় কথাগুলো আরো মধুময় করে তোলার জন্য কথার ভাঁজে ভাঁজে তালের অনুভব থেকেই একতারার জন্ম। তবে একতারার জন্ম যেখানে বা যখনই হোক না কেন এই যন্ত্র নিয়ে আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় গানের শিরোনাম হচ্ছে একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল একতারা তৈরির উপকরণ ও প্রক্রিয়া একতারা তৈরির জন্য লাউ,কুমড়া,কদ বেল মোটা বাঁশ বা কাঠ, নারিকেলের খোল কিংবা পিতলের পাতলা আবরণ যাই ব্যবহার করা হোক না লক্ষ্য রাখতে হবে এটি যেন উপরে-নিচে খোলা এবং বৃত্তাকার হয়। বৃত্তাকারের খোলা মুখের ব্যাস সাধারণত ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি হয়। প্রায় ৩ ফুট লম্বা বিশেষ এক ধরনের মুলি বাঁশের উপরের দিকে গিঁট রেখে নিচের দিকে ফাঁড়তে হবে। এমনভাবে ফাঁড়তে হবে যাতে বাঁশ বা কঞ্চিটি চিমটা আকারের হয়। বিশেষ ধরনের মুলি বাঁশ বা কঞ্চির মাঝ দিয়ে কাঠের একটি কাঁন (কাঠ দিয়ে তৈরি এক ধরনের কাঠি) তৈরি করতে হবে। চিমটার নিচের দিকটি লাউ, মোটা বাঁশ, কাঁঠ বা নারিকেলের খোল কিংবা কাঁসার পাতলা বৃত্তাকারের খোলটির দু'প্রান্তে শক্ত করে বাঁধতে হবে। ওই খোলটির তলায় চামড়া দিয়ে ঢেকে ফেলতে হবে। চমড়াটি শুকিয়ে এলে চামড়ার মধ্যে সূক্ষ্ম ছিদ্র করতে হবে। সেই ছিদ্রটির মধ্য দিয়ে একটি সরু পিতল বা লোহা কিংবা ইস্পাতের তার ঢুকিয়ে দিয়ে সেই তারের একটি মাথা দু'পাশে দেওয়া বিশেষ মুলি বাঁশ অথবা কঞ্চির মাঝে থাকা কাঁনের সঙ্গে বাঁধতে হবে। কাঁন দিয়ে তারটি টান বা ঢিলা করা হয়। দুই পাশে থাকা কঞ্চিতে চার আঙুলে ধরে এক আঙুল দিয়ে একতারায় সুর তোলা হয়। এভাবেই কাজ করে একতারা। আরো দেখুন দোতারা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:তারবিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্র বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের বাদ্যযন্ত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতের বাদ্যযন্ত্র বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের বাদ্যযন্ত্র বিষয়শ্রেণী:সুফী সঙ্গীত
একতারা
হর গোবিন্দ খোরানা (জন্ম: জানুয়ারী ৯, ১৯২২ – মৃত্যু: নভেম্বর ৯, ২০১১) ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী। তিনি ১৯৬৮ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি আমিনো এসিডের কোডন এর সিকুয়েন্স বের করার এক সহজ পদ্ধতির আবিষ্কার করেছেন। জীবনী তিনি লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে বিএসসি এবং ১৯৪৫ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫২ সালে ভ্যাঙ্কুভারের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে ম্যাডিসনের ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যোগদান করেন এবং ২০০৭ সাল পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা করেন। পুরস্কার ও সম্মাননা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯৬৮) গির্ডনার ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। লুইজা গ্রস হরউইটজ প্রাইজ (কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নিউইয়র্ক,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। উইলার্ড গিবস অ্যাওয়ার্ড (মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র)। পদ্মবিভূষণ (ভারত সরকার)। এছাড়াও ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন- ম্যাডিসন, ভারত সরকার ও ইন্দো-আমেরিকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফোরাম “খোরানা প্রোগ্রাম” চালু করে। তথ্যসূত্র বহি:সংযোগ দ্যা খোরানা প্রোগ্রাম ৩৩তম স্টিনবুক সিম্পোজিয়াম PDF Remembering Har Gobind Khorana: University of Wisconsin Biochemistry Newsletter, adapted from article in Cell বিষয়শ্রেণী:১৯২২-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:নোবেল বিজয়ী জীব বিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন জীববিজ্ঞানী বিষয়শ্রেণী:ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির শিক্ষক বিষয়শ্রেণী:২০১১-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন, ম্যাডিসনের শিক্ষক বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল মেডেল অফ সাইন্স বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক বিষয়শ্রেণী:উইলার্ড গিবস অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন নাগরিকত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি
হর গোবিন্দ খোরানা
ঘটনার তালিকা অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জার্মানি, অস্ট্রিয়া-হাংগেরি ও ইতালির ত্রিপক্ষীয় মৈত্রিচুক্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের (triple entente) সৃষ্টি। জন্ম মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী, ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পন্ডিত ও মুফতি। জানুয়ারি-মার্চ ৩ জানুয়ারি - রে মিলান্ড, ওয়েলসীয় অভিনেতা। এপ্রিল-জুন ১২ মে - ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী। ১৩ মে - ড্যাফনি দ্যু মারিয়েই, ইংরেজ লেখক। ১৪ মে - আইয়ুব খান, পাকিস্তানের ২য় রাষ্ট্রপতি। ২২ মে - এর্জে, বেলজীয় কমিক্স লেখক ও চিত্রকর। ২২ মে - লরন্স অলিভিয়ে, ইংরেজ অভিনেতা ও পরিচালক। জুলাই-সেপ্টেম্বর ৬ জুলাই - ফ্রিদা কাহলো, মেক্সিকান চিত্রশিল্পী। ১৬ জুলাই - বারবারা স্ট্যানউইক, মার্কিন অভিনেত্রী। ৩১ আগস্ট - রামোন ম্যাগসেসে, ফিলিপাইনের ৭ম রাষ্ট্রপতি। ১৮ সেপ্টেম্বর - এডউইন মাটিসন ম্যাকমিলান নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। অক্টোবর-ডিসেম্বর ২২ ডিসেম্বর - পেগি অ্যাশক্রফ্‌ট, ব্রিটিশ অভিনেত্রী। মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:১৯০৭
১৯০৭
লুসোন (তাগালোগ ভাষায় Luzon লুসোন্) ফিলিপাইনের বৃহত্তম দ্বীপ। ম্যানিলা ও কেসোন ছাড়াও ফিলিপাইনের অনেকগুলো বড় শহর এই দ্বীপে অবস্থিত। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ফিলিপাইন de:Luzón it:Luzón nl:Luzon (eiland) no:Luzon pt:Luzón
লুসোন দ্বীপ
thumb|right লুক্সেমবুর্গ (লুক্সেমবুর্গীয় ভাষায় Lëtzebuerg লেৎসেবুয়ের্ক্‌; জার্মান ভাষায় Luxemburg লুক্‌সেম্‌বুয়াক্‌ ; ফরাসি ভাষায় Luxembourg ল্যুক্‌সম্‌বুর্গ্‌) ইউরোপ মহাদেশের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র লুক্সেমবুর্গের রাজধানী। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:লুক্সেমবুর্গের শহর বিষয়শ্রেণী:ইউরোপের রাজধানী
লুক্সেমবুর্গ শহর
জ্যাজ সঙ্গীত হচ্ছে মূলতঃ আমেরিকার এক ধরনের সঙ্গীত যা বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নিউ অরলিন্সে শুরু হয়েছিল। এই সঙ্গীতের শিকড় হচ্ছে আফ্রিকান এবং আফ্রিকান-আমেরিকান সঙ্গীত যা পাশ্চাত্যের সঙ্গীত কৌশলের সাথে মিশে গিয়ে এক নতুন ধরন এবং ধারণার সৃষ্টি করেছে। পশ্চিম আফ্রিকান সহিল এবং নিউ ইংল্যান্ডের ধর্মীয় হাইম, হিলবিলি মিউজিক এবং ইউরোপের সেনাদলের ব্যান্ড মিউজিক - এ সবের সমন্বয় এবং প্রভাব আছে জ্যাজ সঙ্গীতে। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আফ্রিকান আমেরিকান জনগোষ্ঠীতে শুরু হওয়া এই সঙ্গীত ধারা ১৯২০ এর দিকে অন্যান্য সঙ্গীত ধারাকেও প্রভাবিত করতে শুরু করে। তথ্য উৎস বিষয়শ্রেণী:জ্যাজ সঙ্গীত বিষয়শ্রেণী:ধরণ অনুযায়ী সঙ্গীত বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সংস্কৃতি
জ্যাজ
ঘটনার তালিকা জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী যুক্তরাজ্যের সাথে জাপানের গোপন চুক্তি হয়, যেখানে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শেষে জাপান প্রশান্ত মহাসাগরে জার্মানির প্রাক্তন উপনিবেশগুলির উপর তার দাবির ব্যাপারে যুক্তরাজ্য ও মিত্রশক্তিদের সমর্থন পায়। জন্ম জানুয়ারি-মার্চ ১৮ জানুয়ারি - আজিজুর রহমান, বাংলাদেশী কবি এবং গীতিকার। (মৃ. ১৯৭৮) এপ্রিল-জুন জুলাই-সেপ্টেম্বর ৬ আগস্ট - রবার্ট মিচাম, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, কবি, সুরকার ও গায়ক। (মৃ. ১৯৯৭) অক্টোবর-ডিসেম্বর ৭ অক্টোবর - জুন অ্যালিসন, মার্কিন অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ও গায়িকা। (মৃ. ২০০৬) মৃত্যু জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:১৯১৭ nv:1901 – 1950
১৯১৭
__NOTOC__ ১৮৬৪ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর একটি সাধারণ বছর। ঘটনাবলি জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর অজানা/অমীমাংসিত তারিখের ঘটনাবলী জন্ম জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর ১৯ অক্টোবর - ওগ্যুস্ত ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত। (মৃ. ১৯৫৪) নভেম্বর ডিসেম্বর মৃত্যু জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর বিষয়শ্রেণী:১৮৬২
১৮৬২
তালব্য নাসিক্যধ্বনি একটা ব্যঞ্জনধ্বনি। এই ব্যঞ্জনধ্বনিটা বিশ্বের অনেকগুলো কথ্য ভাষায় ধ্বনিমূলক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আইপিএতে [ɲ] বর্তমান বাংলা লিপিতে এই ধ্বনিটির বিশেষ বর্ণ নেই, তবু প্রাচীন বাংলায় ঞ্‌‌‌ বর্ণটির মূল উচ্চারণ তালব্য নাসিক্যধ্বনি ছিল। বাংলা ভাষায় এই ধ্বনিটি বর্তমান বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নয়। অন্যান্য ভাষায় এই ধ্বনিটি বহু ইউরোপীয় ভাষাতে ধ্বনিমূল হিসাবে ব্যবহৃত। পর্তুগিজে এই ধ্বনিটি "nh" যুক্তবর্ণ দিয়ে লেখা হয়, যেমন manhã মাঞাঁ [mɐɲɐ̃] "সকাল"। ভিয়েতনামি ভাষায়ও এই ধ্বনিটি "nh" বর্ণে লেখা, যেমন nhai ঞায় [ɲaɪ] "চাবানো"। বিষয়শ্রেণী:ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা
ঘোষ তালব্য নাসিক্যধ্বনি
ঈদ উল আযহা বা ঈদ উল আজহা বা ঈদ উল আধহা (, ) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। চলতি কথনে এই উৎসবটি কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আযহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফযরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাক্বাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে। ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায়, ঈদুল আযহা জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে পড়ে। আন্তর্জাতিক (গ্রেগরীয়) পঞ্জিকায় তারিখ প্রতি বছর ভিন্ন হয়, সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জ্বিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। অন্য নাম আরবি ছাড়া অন্য ভাষায়, এই নামটি প্রায়ই স্থানীয় ভাষায় বলা হয়ে থাকে, যেমন বাংলায় কোরবানি ঈদ, জার্মান ভাষায় Opferfest, ওলন্দাজ ভাষায় Offerfeest, রোমানীয় ভাষায় Sărbătoarea Sacrificiului, ও হাঙ্গেরীয় ভাষায় Áldozati ünnep। স্পেনীয় ভাষায় এটি Fiesta del Cordero বা Fiesta del Borrego (দুটিরই অর্থ "মেষশাবকের উৎসব") নামে পরিচিত। এছাড়া মিশর, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যে এটি ʿĪd al-Baqarah নামে, ইরানে ঈদে কোরবান নামে, তুরস্কে Kurban Bayramı ("ত্যাগের দিন") নামে, ত্রিনিদাদে Bakara Eid নামে, মাগরেবে ʿĪd el-Kebīr নামে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন Iduladha, Hari Raya Aiduladha, Hari Raya Haji বা কুরবান নামে, ভারত ও পাকিস্তানে বক্রা ঈদ বা বরি ঈদ নামে পরিচিত। ব্যুৎপত্তি আরবি عيد ঈদ শব্দটির অর্থ "উৎসব," "উদযাপন," "ভোজের দিন," বা "ছুটির দিন"। ًأضحى আদহা শব্দটির অর্থ "বলিদান", '"ত্যাগ"। ইতিহাস ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, মহান আল্লাহ তা’আলা ইসলামের রাসুল হযরত ইব্রাহীম (আ.)কে স্বপ্নযোগে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেন: ইব্রাহীম স্বপ্নে এবম্বিধ আদেশ পেয়ে ১০টি উট কোরবানি করলেন। পুনরায় তিনি আবারো একই স্বপ্ন দেখলেন। অতঃপর ইব্রাহীম এবার ১০০টি উট কোরবানি করেন। এরপরেও তিনি একই স্বপ্ন দেখে ভাবলেন, আমার কাছে তো এ মুহূর্তে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) ছাড়া আর কোনো প্রিয় বস্তু নেই। তখন তিনি পুত্রকে কোরবানির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিসহ আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ সময় শয়তান আল্লাহর আদেশ পালন করা থেকে বিরত করার জন্য ইব্রাহীম ও তার পরিবারকে প্রলুব্ধ করেছিল, এবং ইব্রাহীম শয়তানকে পাথর ছুঁড়ে মেরেছিলেন। শয়তানকে তার প্রত্যাখ্যানের কথা স্মরণে হজ্জের সময় শয়তানের অবস্থানের চিহ্ন স্বরূপ নির্মিত ৩টি স্তম্ভে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করা হয়। যখন ইব্রাহীম (আ.) আরাফাত পর্বতের উপর তার পুত্রকে কোরবানি দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে তার পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তার পুত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর আদেশ পালন করার দ্বারা কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এটি ছিল ছয় সংখ্যক পরীক্ষা। এতে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ ইব্রাহীম (আ.) কে তার খলিল (বন্ধু) হিসাবে গ্রহণ করেন। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিমরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি উদযাপন করে। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরে ঈদুল আজহার কুরবানি চলে। হিজরি চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে। দিনের হিসেবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে। ঈদের নামাজ মুসলিমগণ ঈদুল আযহার নামাজ মসজিদে বা খোলা মাঠে আদায় করে থাকেন। ঈদের নামাজ জ্বিলহজ্জের ১০ তারিখে, সূর্য উদয়ের পর থেকে যোহর নামাজের সময় হবার আগ পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে যে কোনো সময় আদায় করা হয়ে থাকে। কোনো কারণবশত (উদাহরণ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ) নামাজ আদায় করা না গেলে ঈদুল আজহার নামাজ ১২ই যিলহজ্ব পর্যন্ত ঐ সময়ের মধ্যে আদায় করা যাবে। ঈদের নামাজের আগে মুসল্লিরা জোরে জোরে "তাকবীর" উচ্চারণ করে। ঈদের নামাজ দুই রাক্বাত। এটি ওয়াজিব নামাজ। তা জামায়াতের সঙ্গে ছয় অতিরিক্ত তাক্ববিরের সঙ্গে পড়তে হয়। ঈদের নামাজ শেষে ইমামের জন্য খুৎবা পড়া সুন্নত ও মুছুুল্লিদের জন্য খুৎবা শোনা ওয়াজিব। পশু কুরবানী thumb|ঈদুল আজহার দিনে কুরবানী করা পশুর মাংস গরীবদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে টুকরা টুকরা করে কাটা হয়। thumb|কুরবানির পশুর হাট, ময়মনসিংহ, ২০১১। ইসলাম মতে ঈদুল আযহার দিনে যার যাকাত দেয়ার সামর্থ্য আছে অর্থাৎ যার কাছে ঈদের দিন প্রত্যূষে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা সমপরিমাণ সম্পদ (যেমন জমানো টাকাা) আছে তার ওপর ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কুরবানি করা ওয়াজীব। ঈদুল আযহার দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী দুইদিন পশু কুরবানির জন্য নির্ধারিত। মুসাফির বা ভ্রমণকারির ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব নয়| ঈদুল আযহার নামাজ শেষে কুরবানী করতে হবে। ঈদুল আযহার নামাজের আগে কুরবানি করা সঠিক নয়। বাংলাদেশের মুসলিমরা সাধারণত গরু ও ছাগল কুরবানি দিয়ে থাকেন। এছাড়া কেউ কেউ ভেড়া, মহিষ, উট, দুম্বাও কোরবানি দিয়ে থাকেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ আর বাংলাদেশে কোরবানির উপযোগী পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লক্ষ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে কোরবানিকৃত পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫ লাখ। এক ব্যক্তি একটি গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা কুরবানি করতে পারেন। তবে গরু, মহিষ ও উটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ ভাগে কুরবানি করা যায় অর্থাৎ ২, ৩, ৫ বা ৭ ব্যক্তি একটি গরু কুরবানিতে শরিক হতে পারেন। কুরবানির ছাগলের বয়স কমপক্ষে ১ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স কমপক্ষে ২ বছর হতে হবে। নিজ হাতে কুরবানি করা ভাল। কুরবানি প্রাণীর দক্ষিণ দিকে রেখে কিবলামুখী করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে 'বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার' বলে জবাই করতে হয়। সাধারণত আমাদের দেশে কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে ১ ভাগ গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ১ ভাগ আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে এবং ১ ভাগ নিজেদের খাওয়ার জন্য রাখা হয়। তবে মাংস বিতরণের কোন সুস্পষ্ট হুকুম নেই কারণ কুরবানির হুকুম পশু জবেহ্‌ হওয়ার দ্বারা পালন হয়ে যায়। কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ দান করে দেয়ার নির্দেশ রয়েছে। উদযাপন ঈদের দিন শুরু হয় ঈদের নামাজের জন্য গোছল করে এবং নতুন কাপড় পরিধান করে। সকল মুসলিম ছেলেদের জন্য এই ঈদের দুই রাকাত নামাজ আদায় করা ওয়াজিব এবং মহিলাদের জন্য এই নামাজ সুন্নৎ। বাঙ্গালী মুসলমানরা নামাজের পরে পুরো পরিবার একত্রে সকাল বেলা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য দিয়ে নাস্তা করে। সকালের এই নাস্তাতে থাকে নানান ধরনের মিষ্টান্ন। নাস্তা খাবার শেষে মুসলমান পুরুষেরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে কোরবানির প্রস্তুতি নিতে থাকে। কোরবানী শেষে কোরবানীর প্রথানুযায়ী কোরবানীর মাংশ গরীব, আত্নীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। এ দিনে প্রত্যেক মুসলমান অন্যদের বাড়িতে বেড়াতে যায় আনন্দ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। বাঙ্গালী মুসলিম সমাজে এ উৎসবটি কেবল মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা, অন্যান্য ধর্মাম্বলীরাও অংশগ্রহণ করে উদযাপনে। টীকা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ কুরবানী ও কুরবানীর তাৎপর্য : ইবাদত সম্পর্কে বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়(মাসিক আলকাউসার) ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষাঃ NCTB বিষয়শ্রেণী:ইসলামী উৎসব বিষয়শ্রেণী:ইসলামী পবিত্র দিন বিষয়শ্রেণী:ঈদ
ঈদুল আযহা
ঘোষ অলিজিহ্ব্য স্পর্শধ্বনি একটা ব্যঞ্জনধ্বনি। এই ব্যঞ্জনধ্বনিটা বিশ্বের অনেকগুলো কথ্য ভাষায় ধ্বনিমূলক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আইপিএতে [ɢ] বাংলা লিপিতে এই ধ্বনির কোনও বিশেষ বর্ণ নেই। এই বর্ণটির উচ্চারণ বাংলা "গ্‌‌‌"-এর কাছে। এটি ফার্সি ভাষা ছাড়াও বিশ্বের অনেক ভাষায় ব্যবহার করা হয়। বিষয়শ্রেণী:ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়শ্রেণী:আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা
ঘোষ অলিজিহ্ব্য স্পর্শধ্বনি