news_link
stringlengths 42
523
| head_lines
stringlengths 2
121
| article
stringlengths 1
58.1k
| tags
stringlengths 1
285
⌀ | image_caption
stringlengths 1
1.86k
⌀ | category
stringclasses 13
values |
---|---|---|---|---|---|
https://samakal.com/sports/article/2203101026/স্পন্সরের-অভাবে-বাংলাদেশ-আসতে-পারছে-না-আর্জেন্টিনা | স্পন্সরের অভাবে বাংলাদেশ আসতে পারছে না আর্জেন্টিনা | বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতা গত বছর প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। এবারও ঢাকায় হতে যাচ্ছে আট জাতির বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি। আগামী ১৬-২৫ মার্চ ঢাকায় অনুষ্টিত হবে এই টুর্নামেন্ট। গত বছর ফাইনালে কেনিয়াকে ৩৪-২৮ পয়েন্টে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এই প্রতিযোগিতায় খেলতে যে ১২ দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন, তার মধ্যে ছিল আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ডও। কিন্তু এ দুই দেশের একটিকেও দেখা যাবে না টুর্নামেন্টে।আর্জেন্টিনা আসছে না টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার ব্যয় বহনের জন্য স্পন্সর না পাওয়ায়। পোল্যান্ড আসছে না রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর কারণে। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় জাতির পিতার নামে টুর্নামেন্টটি এবার আরও ভালোভাবে আয়োজনের সুযোগ ও তাড়না রয়েছে আমাদের মধ্যে। জমজমাটভাবে আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আট দল নিয়ে হবে এবারের টুর্নামেন্ট।' | বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি,বাংলাদেশ,আর্জেন্টিনা | আর্জেন্টিনা কাবাডি দল | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/02/25/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%a4/ | চাঁদপুরে সন্তানকে বাঁচাতে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা | চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় চলন্ত লঞ্চ থেকে শিশু সন্তান পড়ে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে শিশুটির মা মেঘনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আজ সোমবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মা ও শিশু নিখোঁজ রয়েছেন। ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি হাসান ইমাম-২ লঞ্চটি বিকেলে মেঘনা নদীতে এলে লঞ্চ থেকে একটি শিশু নদীতে পড়ে যায়। শিশুটিকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিকভাবে তার মা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের উদ্ধারকারী দল নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। সংবাদ পেয়ে উদ্ধার কাজ পরিদর্শন করেন মতলব উত্তর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শারমিন আক্তার। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। | null | সন্তানকে বাঁচাতে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা। | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2019/08/20/449706 | কাশ্মীর নিয়ে মোদির সঙ্গে ইমরান খানের সমঝোতা, অভিযোগ রেহামের | পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে একটা সমঝোতা হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই জেনে এসেছি যে কাশ্মীর পাকিস্তানেরই অংশ। কিন্তু সেই কাশ্মীর বিক্রি হয়ে গেছে। সম্প্রতি আইএএনএসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন রেহাম খান। রেহাম খান বলেন, তার সাবেক স্বামী সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন। ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে তিনি ইশতেহারে বলেছিলেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করবেন। সেটাই করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তখন কাশ্মীর নিয়ে একটি নীতিগত বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন-আমি জানতাম, মোদি এটা করতে যাচ্ছেন।' ইমরান খান বলেছেন যে তিনি জানতেন, যখন তিনি বিশকেকে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, বললেন রেহাম খান। 'যখন আপনি জানতেন যে এমনটা ঘটতে যাচ্ছে, তখন আপনি কেন মোদিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেন আপনি তাকে মিসড কল দিতে গেছেন?' এই নারী সাংবাদিক বলেন, যখন আপনি সব জানতেন, অথচ আপনি কিছুই করেননি। তার অর্থ হচ্ছে-কোনো কিছু করতে আপনি অক্ষম কিংবা আপনি দুর্বল। পেশায় সাংবাদিক রেহাম খান ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। ১০ মাসের মতো তাদের সংসার টিকেছিল। এরপর থেকে তিনি সাবেক স্বামীর কড়া সমালোচনা করে আসছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | ইমরান খান ও রেহাম খান | international |
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2020/10/09/575109 | বঙ্গবন্ধু ভালো ফুটবল খেলতেন: তথ্যমন্ত্রী | জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভালো ফুটবল খেলতেন। এক খেলায় বঙ্গবন্ধু নিজের পিতার ফুটবল টিমকে হারিয়ে দেন বলে জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিজেকেএস'র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, টুর্ণামেন্ট কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান, সিজেকেএস'র সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এর ওয়েভভিত্তিক বিভিন্ন এন্টারটেনমেন্ট অ্যাপসগুলোর ব্যাপারে আসক্তি থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে বের করে আনতে হবে। তা না হলে হুমকির মুখে পড়বে কিশোর সমাজ। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | ড. হাছান মাহমুদ | politics |
https://samakal.com/whole-country/article/210356901/-পরিত্যক্ত-মর্টারশেল-বিস্ফোরিত-হয়ে-গোবিন্দগঞ্জে-হতাহতের-ঘটনা-পুলিশ | গোবিন্দগঞ্জে হতাহত পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরণে: পুলিশ | গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে যে বস্তুটি বিস্ফোরিত হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন, সেটি ছিল পরিত্যক্ত একটি মর্টারশেল। বৃহস্পতিবার সকালে গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান। তিনি জানান, এ ঘটনায় যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পরিত্যক্ত মর্টারশেল বিস্ফোরিত হয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশসুপার জানান, ওই বাড়ির পাশে রাস্তার কাজ চলছে। সেখান থেকে সম্প্রতি একটি মর্টারশেল পায় ওই পরিবারের সদস্যরা। বুধবার বিকেলে সেটি ধারাল কিছু দিয়ে কাটছিলেন কয়েকজন। এরই এক পর্যায়ে এটি বিস্ফোরিত হয়। এর আগে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কামারদহ মেকুরাই নয়াপাড়া গ্রামে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় তিনজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মেকুরাই
নয়াপাড়া গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে ও বাড়ির মালিক কুয়েতপ্রবাসী বোরহান উদ্দিন
(৩৮) একই গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদুল ইসলাম (৩২) এবং
মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা গ্রামের তৈয়ব অলীর ছেলে রানা (২৯)। | গাইবান্ধা,গোবিন্দগঞ্জ | বিস্ফোরণে উড়ে গেছে টিনের চাল
| national |
https://www.ajkerpatrika.com/102454/%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A3 | ১২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবাব বিতরণ | রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের ১২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবাব দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউজিডিপি) আওতায় এবং কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের বাস্তবায়নে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবাব দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সকালে চন্দ্রঘোনা কে আর সি উচ্চবিদ্যালয়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে এই আসবাব হস্তান্তর করা হয়। এ সময় ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১৫৬ জোড়া হাই ও লো বেঞ্চ বিতরণ করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর ঝিমি চাকমা। | চট্টগ্রাম জেলা,রাঙামাটি,চট্টগ্রাম বিভাগ,কাপ্তাই,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,খাগড়াছড়ি বান্দরবান রাঙামাটি | এক প্রধান শিক্ষকের হাতে বেঞ্চ তুলে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক ও ইউএনও মুনতাসির জাহান। | national |
https://www.prothomalo.com/entertainment/song/বিশ্ব-ভালো-নেই-বিশ্বজিৎ-কী-করে-থাকে | বিশ্ব ভালো নেই, বিশ্বজিৎ কী করে থাকে | ভালোবাসার বানে ভেসে যাওয়া যাকে বলে, শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ক্ষেত্রে আজ সেটাই ঘটেছিল। করোনাকবলিত সময়ে প্রিয়জনের কথা কয়জনই-বা মনে রাখে। কিন্তু প্রিয় শিল্পীর জন্মদিনটি ভোলেননি অনুরাগীরা। ছবি ও শুভেচ্ছাবার্তায় তাই সয়লাব হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক। শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফোন করে যখন জানতে চাই, কেমন আছেন? তাঁর সে উত্তর যে কারও মন বিষণ্ন করে তুলবে, প্রিয় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধায় আরও নত করে দেবে মাথা। 'বিশ্ব যখন ভালো নেই, তখন বিশ্বজিৎ কী করে ভালো থাকে', গভীর অথচ ভালোবাসায় আর্দ্র কণ্ঠে বললেন কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি বললেন, 'এমন দুঃসময় পৃথিবীতে আর আসেনি। এ রকম সময়ে সব উপলক্ষ গৌণ হয়ে যায়। মানুষ সামাজিক জীব, অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে দূরে থাকতে। কোলাকুলি তো আর ভার্চ্যুয়ালি হবে না। মৃত্যুতেও ছেলে বাবার কাছে, বাবা ছেলের কাছে যেতে চায় না। মানুষের নিজেকে রক্ষা করার চাপ, ভবিষ্যতের চাপ, সন্তানের পড়াশোনার চিন্তা। জীবন ও জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তার কাছে সবকিছু গৌণ হয়ে গেছে। চারপাশ থেকে কেবল বিয়োগাত্মক খবর পাই, স্বাভাবিকভাবে মন ভালো থাকে না। গত ডিসেম্বরে মাকে হারিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ। সেই শোক এখনো মন থেকে মোছেনি। মাকে ছাড়া এটাই তাঁর প্রথম জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই একটা বিমর্ষ, বিষণ্ন দিন। পীড়িত স্বরে তিনি বলেন, 'ভাবলেই বুকটা আটকে আসে, মা যদি এই সময়ে অসুস্থ হতেন, তাহলে তাঁকে হাসপাতালেও নিতে পারতাম না। এই সময়ে যাঁদের প্রিয়জন চলে গেছেন, তাঁদের আত্মার প্রতি আমার শ্রদ্ধা।' সবকিছুর পরও জন্মদিন মানে সবচেয়ে প্রিয় দিন। জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই শুভেচ্ছাসিক্ত হচ্ছিলেন শিল্পী। রাত ১২টা এক মিনিটে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্ত্রী নাঈমা সুলতানা। রাত পেরিয়ে দিনেও ফোন, খুদে বার্তা আর ফেসবুকে শুভেচ্ছাসিক্ত হয়ে আনন্দিত কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, 'ভার্চ্যুয়ালি যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। যা আমি দিইনি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। জানি না ভালোবাসার এ ঋণ আমি কীভাবে শোধ করব। তবে ইচ্ছা করে আরও কিছুদিন বাঁচি, আরও কিছু কাজ করি।' ভয়াল এই সময়ে এত এত ভালোবাসা পাবেন, ভাবেননি কুমার বিশ্বজিৎ। ভেবেছিলেন, মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। হয়তো ভুলে যাবে। তাঁর ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্ত-অনুরাগীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে। শিল্পী মনে করেন, তিনি সৌভাগ্যবান ও ঈশ্বরের ভালোবাসা পাওয়া একজন মানুষ, সে কারণেই সবাই তাঁকে মনে রেখেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। গানও করেছেন সিনেমায়। বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন, হয়েছেন রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক। এসব কেন করেছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হিরো হওয়ার অফারও এসেছিল আমার কাছে। বহু কষ্টে সেসব অ্যাভয়েড করেছি। বাকিগুলো অ্যাভয়েড করতে পারিনি চাপে পড়ে। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে করেছি। যাঁরা করিয়েছেন, ভালোবাসা থেকেই করিয়েছেন। নিজের ট্র্যাকের বাইরে এ কাজগুলো আমি করতে চাইনি। কারণ, আমার ওসব করার গুণ নেই।' ১৯৭৭ সালের জন্মদিনটা কুমার বিশ্বজিতের কাছে আজও স্মরণীয়। ব্যান্ড গড়বেন, একটা ড্রাম সেট খুব দরকার ছিল। তখন চাইলেই সেটা ভাড়া নেওয়া বা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। সে বছর জন্মদিনে বাবা তাঁকে কিনে দিলেন ড্রাম সেট। 'সেই আনন্দের কথা বলে বোঝানো যাবে না', বললেন বিশ্বজিৎ। মানুষের থেকে মানুষের দূরত্ব এঁকে দেওয়া এই মহামারিতেও কিছু মানুষ থাকছেন মানুষের পাশে। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন এই শিল্পী। বললেন, 'এই মহামারির সম্মুখযোদ্ধা ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী, সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সবার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।' করোনায় তিনিও হাত বাড়িয়েছেন বিপদাপন্ন মানুষের দিকে। এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি এই শিল্পী। তবে এটুকুই বললেন, 'নিজের সামর্থ্যমতো যেটা করেছি, সেটিই শেষ নয়। আমি করে যেতে চাই।' কয়েক দিন ধরে খুব পাহাড়, নদী বা লেকের পাড়ে যেতে ইচ্ছা করছে কুমার বিশ্বজিতের। করোনা পেরোলে যাবেন নিশ্চয়ই। তারপর খোলা জায়গায় গিয়ে বুক ভরে শ্বাস নেবেন। | সংগীত | কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: সংগৃহীত | entertainment |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/লোভের-আগুনে-যখন-পুড়ে-যাচ্ছে-সব | লোভের আগুনে যখন পুড়ে যাচ্ছে সব | প্রথম আলোর ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারির খবর, সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, ঢাকায় ৭২ হাজার ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১০ সালে প্রথম আলোর খবর ছিল, ঢাকায় ত্রুটিপূর্ণ নকশায় নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে ১০ হাজার। আর ২০১০ সালে আরেকটা খবরে বলা হয়েছিল, ঢাকায় ৯৭ শতাংশ ভবনে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। বনানীর ফারুক রূপায়ণ টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন আর এত এত মানুষের মৃত্যু আমাদের বিচলিত করেছে। এর আগে চকবাজারের আগুনে মারা গেছে আরও বেশিসংখ্যক মানুষ। তারও আগে নিমতলীতে মরেছে মানুষ। পরপর দুটো বড় অগ্নিকাণ্ডে এতগুলো মানুষের করুণ মৃত্যু আমাদের অসহায় করে তুলেছে। আমরা এখন আগুন থেকে কীভাবে নিরাপদ থাকব, এই নিয়ে কথা বলছি। আজকেই, আল্লাহ না করুন, একটা ভূমিকম্প যদি হয়, আমাদের সব কথা তখন হবে ভূমিকম্প নিয়ে। তবে চাই বা না চাই, বৃষ্টিপাত তো হবেই। ঢাকায় একদিন একটু অতিরিক্ত বৃষ্টি যদি হয়, জলজটে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট অচল হবেই। তখন দেখবেন, সব কথা হতে থাকবে জলাবদ্ধতা নিয়ে। টেলিভিশনে টক শো হবে, পত্রিকায় আমরা কলাম লিখব, গোলটেবিল বৈঠক হবে। বড় বড় প্রকল্প হবে, অনেকের কপাল খুলে যাবে; আবারও দুর্যোগ আসবে, আমরা আবার কথা বলব, আবারও প্রকল্প হবে, আবারও টাকা বরাদ্দ হবে। এসব অগ্নিকাণ্ডের একটা অভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে, মানুষ মারা গেছে আসলে লোভের আগুনে, অনিয়মের আগুনে, নৈরাজ্যের আগুনে, অপব্যবস্থার আগুনে। আমাদের ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। আমাদের প্রশাসনযন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্ত। এবং বাংলাদেশে এখন চলছে নৈরাজ্যের কাল, লুণ্ঠনের কাল। আমরা অর্থলোভী নই, আমরা অর্থগৃধ্নু। যে যেভাবে পারি, লুটে নিতে চাইছি। আমাদের টাকা দরকার, কোটি টাকা, শতকোটি টাকা, হাজার কোটি টাকা। এই অর্থগৃধ্নুতার আগুনে সবকিছু ভেঙে পড়ছে, সবকিছু ডুবে ভেসে যাচ্ছে, সবকিছু পুড়ে যাচ্ছে। সুবচন এখন নির্বাসনে, সুশাসনের কথা এখন আর কেউ বলেও না। আমরা কথায় কথায় বলি, এই ড্রাইভারের লাইসেন্স ছিল না, এই গাড়ির রুট পারমিট ছিল না, এই বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না, এই ভবনের নকশা অনুমোদিত ছিল না। কিন্তু আমরা কি কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, এই সার্টিফিকেটগুলো কাগজের চেয়ে বেশি কিছু? রাজউক থেকে ভবনের নকশা অনুমোদন নিতে ১১ থেকে ১৪টা ছাড়পত্র নিতে হয়। ধরা যাক, পরিবেশের ছাড়পত্র নিতে হয়, অগ্নিনির্বাপণ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিতে হয়। এবং অবশেষে স্থাপত্য নকশাটি রাজউক অনুমোদন করে। আমার বন্ধু স্থপতি ইকবাল হাবিবের কাছ থেকে জানতে পারলাম, গত আট বছরে রাজউক ৪০ হাজার ভবনের অনুমতি দিয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, এই ৪০ হাজার নকশা কি রাজউক তো রাজউক, পৃথিবীর কোনো কর্তৃপক্ষের পক্ষেই নির্ভুলভাবে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব! তাহলে এসব ছাড়পত্র এবং নকশা অনুমোদনের মানে কী। মানে একটাই, দুর্নীতি। আমাকে ১১ থেকে ১৪ জনের কাছে যেতে হবে, সোজা আঙুলে কিংবা বাঁকা আঙুলে তাঁদের কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায় করে আনতে হবে। কিন্তু আমরা আমাদের পেশাজীবী সংস্থাগুলোর ওপরই নির্ভর করতে পারতাম। কে ভবনের নকশা করতে পারবে, কে পারবে না, তার তো একটা তালিকা আছেই। থাকতে হবে। অনুমোদিত ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট ইমারত বা স্থাপনার নকশা করবেন। এবং এই নকশা করতে তাঁরা বিল্ডিং কোড মান্য করবেন। একটা কর্তৃপক্ষ থাকবে, যাদের কাজ হলো নিয়মিতভাবে মনিটর করা, কে আইনকানুন বা বিধিমালা ভঙ্গ করছেন। আইনে বিধিভঙ্গের জন্য সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধানও আছে। আগামী এক মাসে ১০ জনকে ধরে শাস্তি দিন, দেখবেন, সব সোজা হয়ে গেছে। আমাদের নির্মাণ সংস্থাগুলো কী করে? একটা ভবনের নকশা বানিয়ে রাজউকের বারান্দায় ঘুরতে থাকেন। তাঁদের নিয়োগপ্রাপ্ত লোক আছেন, যাঁদের কাজ রাজউকের বারান্দায় ঘুরে ঘুরে অনুমোদন নিয়ে আসা। তারপর সেই নকশা থাকে কাগজে। মালিক এটা লঙ্ঘন করতে চান। নির্মাতা এটা লঙ্ঘন করতে চান। দুই ফুট জায়গা বাড়িয়ে নিলে কোটি টাকা লাভ। দুটো তলা বেশি বানালে কয়েক কোটি টাকা লাভ। একটা সিঁড়ি কম দিলে আরও কয়েক কোটি পকেটে ঢুকল। পার্কিংয়ের জায়গায় রেস্তোরাঁ বানাও। আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ, দোকান, হাসপাতাল, গোডাউন, স্কুল বানাও। অনেক বহুতল ভবনের সিঁড়ি বন্ধ। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যে লিফট ছাড়া সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা যাবে না। সবচেয়ে ভয়ংকর ভাড়া বাসাগুলো। বাড়িওয়ালা রাত ১১টার পর বাইরের গেটে তালা দিয়ে চাবি নিজের কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। দারোয়ানের কাছেও চাবি থাকে না। ল্যান্ড লর্ড মানে তো জমিদার। এই বাড়িওয়ালাদের সামনে ছাতা মাথায় জুতা পায়ে ভাড়াটেরা চলতে পারেন তো? আমাদের দেশে আমরা লোকালয় বা আবাসিক এলাকা গড়ি কীভাবে? প্রথমে ধানখেত কিংবা জলাশয় ভরাট করি। একটা ছয় ফুট বা দশ ফুট রাস্তার দুধারে বাড়ি বানাই। কোনো ড্রেন নেই। বৈদ্যুতিক খুঁটি পোঁতার জায়গা নেই। বাড়িঘর উঠে গেলে হুঁশ হয়। তখন ওই সরু রাস্তা খুঁড়ে ড্রেন বানাই। রাস্তার ওপরেই বিদ্যুতের খুঁটি পুঁতি। বৃষ্টি হলে ওই রাস্তা ডুবে যায়। আমরা চিৎকার করতে থাকি, কর্তৃপক্ষ কী করে? এখন এই দুষ্টচক্র আমরা ভাঙব কেমন করে? আমরা নিয়ম মানি না বলে সিস্টেম কাজ করে না, আর সিস্টেম কাজ করে না বলে আমরা নিয়ম মানি না। আমার এক নম্বর কথা হলো, কাগজ যেন শুধু কাগজ না হয়। আমি পরিবেশের কাগজ নিয়েছি, এর মানে যেন এই হয় যে আমার স্থাপনা পরিবেশবান্ধব এটা বাস্তবে নিশ্চিত থাকে। দুই নম্বর কথা হলো, আমাদের মনিটরিং বাড়াতে হবে। মোবাইল কোর্ট নামুক, ভবনগুলো পরীক্ষা করতে শুরু করুক। ৭০ হাজার কি ৪০ হাজার ভবন পরীক্ষা করা কারও পক্ষেই সম্ভব না। প্রতিদিন যদি ৭টা ভবন আমরা পরীক্ষা করতে পারি, ৭০ হাজার ভবন পরীক্ষা করতে ১০ হাজার দিন লাগবে, যা অসম্ভব। কিন্তু এক মাসে ২১০টা ভবন পরীক্ষা করে বিধির ব্যত্যয় পেলে আইনানুযায়ী যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়, তাহলে দেখবেন বাকি ৭০ হাজারই নিয়ম মানার জন্য তৎপর হয়ে গেছে। এরপর আমি তাকাতে বলব আমাদের নিজেদের দিকে। আমরা কি আমাদের বাসভবন কিংবা অফিস ভবনের ফায়ার এক্সিট, এক্সটিংগুইশার, বিদ্যুতের লাইন, গ্যাসের লাইন নিয়মিত পরীক্ষা করাই? আমরা কি আগুনের মহড়া করি? আমরা সবাই আমাদের বাড়িঘরগুলোকে গ্রিল দিয়ে খাঁচা বানিয়ে রেখেছি। আপৎকালে আমরা বের হব কোথায়? খাঁচাবন্দী প্রাণীর মতো ছটফট করতে করতে আমাদের মরতে হবে। তাহলে বলার কথাগুলো চারটা দফায় সাজাই। ১. ভবনগুলো ইমারত বিধিমালা মেনে তৈরি করুন। বিধি মানা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য পরিদর্শক দল বেরিয়ে পড়ুক আর বিধিভঙ্গ হলে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া হোক। আর সেই সাজার কথা প্রচার করা হোক। ২. বাড়িওয়ালারা দয়া করে গেটের কাছে চাবি রাখুন, যাতে দরকারের সময় গেট খুলে নিরাপদ স্থানে যাওয়া যায়। ৩. পুরো বাড়িকে গ্রিলে ঢেকে না ফেলে অন্তত কিছু এসকেপ রুট রাখুন। ৪. নাগরিকদের নিজেদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আগুন লাগার পর নেভানো বা পালানোর চেয়ে আগুন যাতে না লাগে, সেই দিকটায় আমরা যেন সবাই নজর দিই আগে। আনিসুল হক: প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও সাহিত্যিক | আনিসুল হক,রাজনীতি | আগুনে জ্বলছে এফ আর টাওয়ার। ভবন বেয়ে নিচে নামছেন কয়েকজন। বনানী, ঢাকা, ২৮ মার্চ। প্রথম আলো ফাইল ছবি | opinion |
https://www.ajkerpatrika.com/4574/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AA%E0%A7%A6-%25-%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF | রাজশাহী কারাগারে বন্দীদের ৪০ শতাংশই মাদক মামলার আসামি | রাজশাহী: করোনাকালেও থেমে নেই মাদকের কারবার। সীমান্ত সংলগ্ন রাজশাহী জেলায় বরং মাদকের ব্যবসা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিতই মাদক কারবারিদের আটক করছে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন বন্দীদের অন্তত ৪০ ভাগই মাদক মামলার আসামি। এদের মধ্যে অনেককে অবশ্য স্বজনরাই পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে।রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দী ২ হাজার ৫৭৫ জন। এর মধ্যে এক হাজার জনই মাদক মামলার আসামি। এ ছাড়া কারাগারে মাদকাসক্ত কারাবন্দী আছেন ৩২৪ জন। তাঁদের চিকিৎসা চালছে। কেউ কেউ সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে বেশির ভাগই চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার আগেই জামিনে বেরিয়ে যান বলে জানা গেছে।রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, সম্প্রতি আমি কারাগারের অন্তত ১০০ বন্দীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনার মধ্যে যখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্যান্য কাজে ব্যস্ত, সেই সুযোগকে তাঁরা কাজে লাগিয়েছেন।পুলিশ, র্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে ২০২০ সালের মে থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের নামে ৩ হাজার ৫৯৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ২ হাজার ১৪১ কেজি ১৭৪ গ্রাম গাঁজা, ৯৩ কেজি ৭৪১ গ্রাম হেরোইন, ২ লাখ ৪০ হাজার ৪৪২টি ইয়াবা, ৬০ হাজার ৪৮৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৫০ বোতল এবং ১৩ লিটার অ্যালকোহল জব্দ করা হয়েছে।এ ছাড়া নেশা জাতীয় ওষুধ জব্দ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫১৩টি, দেশি মদ ৯ হাজার ৯৭৬ লিটার, চোলাই মদ ৩ হাজার ২৪৯ লিটার, বিদেশি মদ ৩৩৫ বোতল, বাংলা মদ ২৯৪ লিটার ও ১৭৯ বোতল, তালের গাঁজানো তাড়ি ৯০ লিটার, প্যাথেড্রিন ইনজেকশন ৮টি, বিয়ার ৩৫৪ বোতল ও টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ২০৯টি জব্দ করা হয়েছে।এদিকে শুধু রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপির) অভিযানে এক বছরে ২ হাজার ৯০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের নামে ২ হাজার ৪০৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ৯৯ কেজি ৩৩৯ গ্রাম ও ২৬টি গাছ, হেরোইন ১৮ কেজি ১৯২ গ্রাম, ইয়াবা ২১ হাজার ৪০৮টি, ফেনসিডিল ২৬৩ বোতল ও ১০ লিটার, অ্যালকোহল ১৫০ বোতল ও ১ লিটার, নেশা জাতীয় ওষুধ ১১ হাজার ৩৬৩টি, দেশি মদ ১০ লিটার ও ১৬ বোতল, চোলাই মদ ১ হাজার ৩৯০ লিটারসহ অন্যান্য আরও কিছু মাদকদ্রব্য।জেলা পুলিশের তথ্য মতে, এক বছরে জেলার আট থানায় ১ হাজার ৩৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের নামে ৭৬২টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ১৪৯ কেজি ১৯০ গ্রাম, হেরোইন ৫ কেজি ৪৬৮ গ্রাম, ইয়াবা ৯ হাজার ৩০৬টি, ফেনসিডিল ৪ হাজার ২৬৩ বোতলসহ অন্যান্য আরও কিছু মাদকদ্রব্য।র্যাব-৫ এর অভিযানে রাজশাহী থেকে এক বছরে ২ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের নামে ৯২৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ১ হাজার ৭৩৯ কেজি ১৯৫ গ্রাম, হেরোইন ৬৭ কেজি ৮৩৭ গ্রাম, ইয়াবা ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৭টি, ফেনসিডিল ৩৭ হাজার ৫৪৮ বোতল, দেশি মদ ৯ হাজার ৯৬৬ লিটার, বিদেশি মদ ৩৩৩ বোতল, বিয়ার ৩৪৯ বোতল ও আফিম ৩৬ কেজি।বিজিবি অবশ্য মাদক ধরলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আসামি ধরতে পারেনি। বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের তথ্য মতে, এক বছরে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মামলা দায়ের করেছে ২২৯ টি। এসব মামলায় গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে ১৫৩ কেজি ৪৫০ গ্রাম, হেরোইন ২ কেজি ২৪৪ গ্রাম, ইয়াবা ৩৩ হাজার ৭১টি, ফেনসিডিল ১৮ হাজার ৪১০ বোতল, নেশা জাতীয় ওষুধ ১৫০টি এবং মদ ১৭৯ বোতল।আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, আমি আসার পরই মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করি। যার কারণে বিপুল পরিমাণ মাদক ধরেছি। চেষ্টা করছি যেন রাজশাহীতে মাদক না থাকে।কমিশনার আরও বলেন, আমরা মাদক ব্যবসায়ীদের একটি ডাটাবেজ করছি। যাঁরা মাদকের সঙ্গে জড়িত এবং ব্যবসা করেন তাঁদের কীভাবে পুনর্বাসিত করা যায় সেটিও ভাবছি।রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো প্রতিনিয়ত নারী মাদক বিক্রেতা বা বহনকারীর সংখ্যা কারাগারে বাড়ছে। মাদক মামলা নিয়ে কেউ কারাগারে এলে শুরুতেই তাকে কিছুক্ষণ মাদকবিরোধী লিফলেট পড়ে শোনানো হয়। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সেলিং সভা করা হয়। কয়েদিদের কারাগারের ভেতরেই নানারকম কাজের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সাজাভোগ শেষ হলে সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে কাউকে কাউকে পুনর্বাসনও করা হয়।রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সত্যিকার অর্থেই মাদক নির্মূল করতে হলে যাঁরা মূল হোতা, তাঁদের ধরতে হবে। শুধু চুনোপুঁটি ধরলে হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সমাজে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ব্যাপারে কাজ করতে হবে। একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে মাদক কমিয়ে আনা সম্ভব, কিন্তু নির্মূল করা সম্ভব নয়। মাদক নির্মূল না হলে ভবিষ্যতে ভয়ংকর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। | রাজশাহী জেলা,অপরাধ,মামলা,গ্রেপ্তার,মাদক,রাজশাহী বিভাগ,কারাগার,মাদকদ্রব্য | রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/183433/%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%88%E0%A6%A6-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF | ছেলেবেলার ঈদ মিস করি | ছেলেবেলার ঈদ, বড়বেলার ঈদছোটবেলায় আমরা একটা ভাড়া বাসায় থাকতাম-অনেকগুলো পরিবার থাকত সেই বাড়িতে। ঈদের দশ-পনেরো দিন আগে ঈদের জামাকাপড় কেনা হতো। এই বাড়ির ছেলেমেয়েদের পোশাক ওই বাড়ির ছেলেমেয়রা দেখবে না, এমন একটা ব্যাপার ছিল। আমরা তিন বোন। আমাদের পোশাকের রঙের সঙ্গে যেন আশপাশের বাড়ির কারও পোশাকের রং মিলে না যায়, এটা খুব করে ভাবতাম। মোটকথা,ঈদের আগের দিন পর্যন্ত নতুন জামা কাউকে দেখানো যাবে না-এমন একটা ব্যাপার ছিল।ঈদের মেহেদিচাঁদরাতে আমাদের মধ্য়ে একটা উত্তেজনা কাজ করত হাতে মেহেদি পরা নিয়ে। আমরা ছোটরা সবাই গোল হয়ে বসতাম, আমাদের ফুপুরা, চাচিরা এক এক করে আমাদের হাতে মেহেদি পরিয়ে দিতেন। এই জিনিসগুলো এখন খুব মিস করি। এগুলো এখন আর হয়ে ওঠে না।ঈদকার্ডঈদকার্ড কেনার ব্যাপারটা খুবই আনন্দদায়ক ছিল আমার কাছে। তখন এলাকার মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট প্যান্ডেল করে ঈদকার্ড বিক্রি করা হতো দুই টাকা বা পাঁচ টাকা দামে। হাতখরচ বাঁচিয়ে কার্ড কিনে মা, বাবা, মামা, বন্ধুবান্ধব ও চাচাতো-মামাতো ভাইবোনদের দিতাম। তারপর ঈদের সালামি-ছোট ছোট সবকিছু মিলেই ছিল ঈদের আনন্দ।ঈদের পোলাও-মাংসসপ্তাহে প্রতি শুক্রবারই হয়তো পোলাও-মাংস রান্না হতো। তবে ঈদের পোলাও-মাংস আমার কাছে একটু আলাদাই লাগত। ঈদের সেমাই, পায়েস ছিল অনেক বেশি স্পেশাল। সারা বছরই হয়তো কমবেশি এই সেমাই, পায়েস খাওয়া হতো। কিন্তু ঈদের দিন সেই খাবারগুলো ছিলঅন্য রকম। ঈদের জামাছোটবেলায় সকালে ঈদের জামা পরে বের হয়ে যেতাম। পুরো এলাকা ঘুরে দুপুরে বাড়ি ফিরতাম। এরপর খাওয়াদাওয়া করে ঈদের কাপড় পাল্টে একটা আরামদায়ক জামা পরে বিকেলবেলা শিশুপার্ক বা চিড়িয়াখানা, এমন কোথাও ঘুরতে যেতাম। এখন দেখা যায়, ঈদের দিন বাসাতেই থাকা হয়। কারণ সাধারণত ঈদের দিন আমাদের বাসায় আত্মীয়স্বজন আসেন। যদি বের হই তাহলে সেটা ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন।ঈদে এখন যা মিস করিএখন তো বড় হয়ে গেছি। ছোটবেলার অনেক ব্যাপার আর নেই। ছোটবেলায় যেমন হিসাব করতাম-কয়টা রোজা গেল, ঈদ আর কয়দিন পর। এখন ব্যস্ততা, দায়িত্ব অনেক বেশি। দেখা গেল, কাজ করছি, কেউ হয়তো বলল, তিন দিন পর ঈদ-তখন চমকে উঠি। তখন সবার জন্য কেনাকাটা, ঈদের বাজার এসব নিয়ে ভাবার ব্যাপার থাকে। ফলে আগের মতো ওই উত্তেজনা থাকে না। ঈদের সালামি এখন দিই, পাই কম। আগে সালামি পাওয়ার একটাআনন্দ ছিল।এখন কেউ কাউকে ঈদকার্ড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, তেমন দেখাও যায় না। ছোটবেলায় দেখতাম এলাকার ছেলেরা, আমার কাজিনরাও ঈদে বড় একটা স্পিকার এনে গলির মোড়ে বিভিন্ন গান বাজাত। তার পাশেই হয়তো একটা ঈদকার্ডের দোকান, তার পাশেই আবার একটা চটপটির দোকান। এখন তো বেশির ভাগ মানুষ দেখি সুন্দর জামাকাপড় পরে সেজেগুজে সারাক্ষণ ছবিই তুলে যাচ্ছে। কেউ কারও সঙ্গে খুব একটা কথাও বলে না, কোলাকুলিও খুব কম করতে দেখি।রান্নাঘরের উষ্ণ আমেজঈদের দিন সকালটা খুব উপভোগ করি এখনো। মায়ের সঙ্গে আমরা তিন বোন মিলে রান্না করি। ঈদের আগের দিন মসলা তৈরি করে রাখা, কী কী রান্না হবে, সেগুলোর একটা তালিকা তৈরি করা, সবার মধ্য়ে রান্নার কাজটা ভাগাভাগি করে নেওয়া-কে পোলাও রান্না করবে, কে সেমাই রান্না করবে, কে রোস্ট রান্না করবে। সব মিলে ঈদের দিন সকালে রান্নাঘরের আমেজটা খুব ভালো থাকে। যখন দুপুরবেলা খেতে বসি, তখন আমরা নম্বর দিই, কার রান্না কত ভালো হয়েছে। মিষ্টিজাতীয় খাবার আমি পছন্দ করি। তবে আমার এখনো মনে হয় যে এ ধরনের খাবার কতটুকু দুধ-চিনিতে সুস্বাদু হয়, সেটা আরও শিখতে হবে।যা খেতে ভালোবাসিবরাবরই যে ধরনের খাবার পছন্দ করিতা হলো ভাত, ছোট মাছ ভাজা ও চচ্চড়ি, সরিষা ভর্তা, আলুভর্তা, সব ধরনের ভাজি, ডিমভাজি, আলুভাজি। এগুলোর ব্যাপারে আমার কখনো অবসাদ আসেনি। এছাড়া ফ্রাইড রাইস, নুডলস, বাটারবন আমার পছন্দ। কখনো কখনো প্লেন কেক, লেমন কেক ভালো লাগে। মিষ্টিজাতীয় খাবারের মধ্য়ে পুডিং, পেস্ট্রি, প্যানকেক আমার খুব পছন্দ। সুযোগ হলে আমি বাসায় মাঝে মাঝে প্যানকেক বানাই। পিৎজা খেতে আগে পছন্দ করতাম না, কিন্ত এবার সাহরিতে আমি কয়েকবার পিৎজা অর্ডার করেছি।এবং টেলিভিশনদুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর হয়তো টিভি দেখা হয়। সাত দিনব্যাপী যে ঈদের অনুষ্ঠান থাকে টেলিভিশনে, সেখান থেকে বেছে বেছে দেখা হয়। অবশ্য দুই বছর ধরে টেলিভিশন তেমন দেখা হয় না বললেই চলে। ঈদের অনুষ্ঠানগুলোর মধ্য়ে সিলেক্ট করে রাখা অনুষ্ঠানগুলো দুই-তিন সপ্তাহ পর যখন অনলাইনে চলে আসে, তখন দেখে নিই। তাতে সময় নষ্ট কম হয়।যা পরতে ভালোবাসিপোশাকের ব্যাপারটা আসলে মুড আর আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। কুর্তি আমার সব সময়ই পছন্দ। এ ছাড়া সুতির টপস, টি-শার্ট, কাফতান ট্রাউজার আরামদায়ক। এরপর আমার পছন্দের হচ্ছে শাড়ি। একেক সময় একেক রং ভালো লাগে। কখনো হয়তো উষ্ণ রং ভালো লাগে, কখনো আবার একটু হালকা রং। তবে সব সময়ই আমার সংগ্রহে সাদা, ক্রিম, পার্পল, হলুদ রঙের পোশাক থাকে। এই রংগুলো খুব আরাম দেয়।অনুলিখন: সানজিদা সামরিন | জীবনধারা,পোশাক,ঈদ,ঈদ আয়োজন,আজকের জীবন | নাজিয়া হক অর্ষা। ইনস্টাগ্রাম | life-health |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/03/23/%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0/ | শিক্ষিকার হত্যার বিচারের দাবিতে মাধবপুরে মানববন্ধন | হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার চাতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মীর হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে জগদীশপুর জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপি এ মানববন্ধন চলে। মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আশফাজ উদ্দিন ভুইয়া, পলাশ কুর্মী, নারায়ন কুর্মী, মো. সামসুদ্দিন জনি, ইকবাল পাঠান, নাইম বিন রাকিব, রবিন্দ্র আচার্য, আবু জাহের মোল্লা, সাজন কৈরী, আইমান আওসাদ, খোকন কুর্মী, সন্তোষ মেম্বার সহ অনেকেই। গত ১৮ মার্চ শ্রীমঙ্গল ২নং পুল এলাকার স্বামীর ভাড়া বাসা থেকে ঝর্নার লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ঝর্ণার কাকা রামপ্রসাদ কুর্মী বাদি হয়ে ঝর্ণার স্বামী ব্যাংক কর্মচারি সঞ্জয় কর্মী সহ ৫ জনকে আসামি করে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ ঝর্ণার স্বামী কে গ্রেপ্তার করলেও অন্য আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। মানববন্ধন শেষে বক্তারা বলেন, ঝর্ণা অত্যন্ত ভাল মেয়ে। তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন ঝর্ণাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। সঠিক ভাবে তদন্ত করলে ঝর্ণা হত্যার বিষয়টি বেড়িয়ে আসবে। ঝর্ণা হত্যার বিচার না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে। | মানববন্ধন,শিক্ষিকা,হত্যা | মঙ্গলবার বিকেলে জগদীশপুর জেসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপি এ মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/33470/%E0%A6%87%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F | ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা | ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন একজন ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগীর নাম আরিফ বাকের। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান থানায় মামলাটি করেন তিনি।মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে এক নম্বর আসামি ও চেয়ারম্যান শামীমাকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় ইভ্যালির আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে 'অজ্ঞাতনামা' দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভুক্তভোগী সশরীরে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত আবেদন জমা দেন।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালিতে মোট ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য বা টাকা বুঝে পেতে কয়েকবার প্রতিষ্ঠানটির দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী আরিফ বাকের। সবশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর পাওনা টাকা বুঝে পেতে কয়েকজন বন্ধু মিলে ইভ্যালির অফিসে যান তিনি। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল উত্তেজিত হয়ে তাঁর কক্ষ থেকে বের হয়ে বাকের ও তাঁর বন্ধুদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। সেখানে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনও উপস্থিত ছিলেন বলে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে।অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ সময় শামীমা নাসরিনও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হতে পারে। গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, একজন ভুক্তভোগী ইভ্যালির এমডির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির অফিস ধানমন্ডি থানা এলাকায় আর ভুক্তভোগীর বাসা গুলশান এলাকায়। তাঁর কাছ থেকে অভিযোগের একটি কপি আমরা রেখেছি। সকালে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখে সিদ্ধান্ত জানাবেন।'এদিকে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান।হাফিজ বলেন, ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। একটি পাওয়া গেছে। বাকিগুলোর তথ্যও আসবে। বৈঠকে ধামাকা, ই-অরেঞ্জ ইত্যাদির কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়েছে। | ডিএমপি,ঢাকা বিভাগ,মামলা,গুলশান,প্রতারণা,ইভ্যালি,ঢাকা | ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। | national |
https://samakal.com/capital/article/200314410/আসলামের-বাধা-উপেক্ষা-করেই-অভিযান-চালাচ্ছে-বিআইডব্লিউটিএ | উচ্ছেদ অভিযানে দলবল নিয়ে এমপি আসলামের বাধা | কেরানীগঞ্জে বছিলা সেতুর পশ্চিম পাশে চর ওয়াশপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরেঅভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)দ্বিতীয় দিনেরউচ্ছেদ অভিযানে দলবল নিয়ে বাধা দিয়েছেনঢাকা-১৪ আসনে সরকারদলীয় সাংসদ আসলামুল হক। তবে তার বাধাউপেক্ষা করেই অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। সকাল ১১টার দিকে বছিলা সেতুর পশ্চিম পাশে বুড়িগঙ্গার তীরে ৭০-৮০ জন লোকসহ নিজে এসে অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন আসলামুল হক। তবে তার বাধা উপেক্ষা করে বিআইডব্লিউটিএ অভিযান অভ্যাহত রাখে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত ছিল। বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ঢাকা নদীবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন সমকালকে বলেন, 'চর ওয়াশপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গার তীরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছেন আসলামুল হক। এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি তৈরি করতে গিয়ে তিনি নদীর মূল ধারা যেখানে ধলেশ্বরীর সঙ্গে মিশেছে সেখানে প্রায় ৫ একর জায়গা দখল করেছেন। মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ একর জায়গায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু করলে আসলামুল হক দলবল নিয়ে এসে অভিযান বন্ধ করার কথা বলেন। তবে আমরা তাকে প্রতিরোধ করে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অভিযান চলবে।' বিআইডব্লিউটিএ দুটি এক্সকাভেটর দিয়ে আসলামুল হকের ভরাট করা জায়গার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করছে। বুড়িগঙ্গার যে অংশটুকু তিনি ভরাট করেছেন, সেই অংশটুকু চিহ্নিত করে লাল ফিতা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই অংশের ভেতর যত স্থাপনা রয়েছে সবকিছু উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানা গেছে। | কেরানীগঞ্জ,বছিলা সেতু,চর ওয়াশপুর,বুড়িগঙ্গা,সাংসদ আসলামুল হক,এমপি আসলাম,উচ্ছেদ অভিযান,বিআইডব্লিউটিএ | দলবল নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে যান এমপি আসলাম। : | national |
https://www.ajkerpatrika.com/165128/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0 | গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি রাশিয়ার, জার্মানির অগ্রিম সতর্কতা | জার্মানিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট দেখা দিতে পারে বলে 'অগ্রিম সতর্কতা' জারি করেছে দেশটির। রাশিয়া তাদের নিজস্ব মুদ্রা রুবলে লেনদেন না করলে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে এমন ঘোষণা দেওয়ার পরই জার্মানির পক্ষ থেকে এই সতর্ক অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেওয়া হলো। বুধবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মান অর্থনীতি মন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক দেশটির জনগণের প্রতি এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।হ্যাবেক বলেন যে-এই অগ্রিম সতর্কতা প্রকৃতপক্ষে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ এবং এর অর্থ হলো জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের ওপর নজরদারি বাড়ানো।বুধবারের দেওয়া ঘোষণা অনুসারে, দেশটির সরকারি সংস্থা এখনো কোনো বিধিনিষেধের আওতায় পড়েনি। তবে, এ সময় হ্যাবেক দেশটির বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের পরিমিত পরিমাণে গ্যাস ব্যবহারের আহ্বান জানান।হ্যাবেকের মতে, জার্মানিতে বর্তমানে তার গ্যাস ধারণক্ষমতার ২৫ শতাংশেরও বেশি গ্যাস রয়েছে।জার্মান অর্থনীতি মন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক বলেছেন, 'বর্তমানে সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। তবুও আমাদের রাশিয়ার যে কোনো পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং আরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।'এর আগে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন যে-রাশিয়ার বন্ধু নয় এমন দেশগুলো যদি রাশিয়ার গ্যাস কিনতে চায় তবে কেবল রুবলেই গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে হবে নইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে ইউরোপে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় জ্বালানি ক্রেতা জার্মানি পুতিনের এমন নির্দেশনাকে 'ব্ল্যাকমেল' বলে খারিজ করে দিয়েছে।হ্যাবেক বলেন, 'রুবলে লেনদেন গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কোনোভাবেই বিভক্ত হব না এবং এই বিষয়ে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর অবস্থান পরিষ্কার। আমাদের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে তা আমরা মেনে চলব।' | ইউরোপ,আন্তর্জাতিক,রাশিয়া,গ্যাস,জার্মানি,ইউক্রেন,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট | জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক। | international |
https://samakal.com/capital/article/211290304/প্রেস-ক্লাব-চত্বের-সাংবাদিক-রিয়াজ-উদ্দিনের-জানাজা-অনুষ্ঠিত | প্রেস ক্লাব চত্বরে সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিনের জানাজা অনুষ্ঠিত | একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, দ্য ফিন্যান্সিয়াল হেরাল্ড সম্পাদক ও প্রকাশক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেনশিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ, সহসভাপতি এ এস এম শহীদুল্লাহ খান, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সম্পাদক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ। জানাজা শেষে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সমকাল পরিবারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সভাপতিফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান,সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ,সম্পাদক পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম,রিয়াজউদ্দিন আহমেদের ছেলে মাশরুর রিয়াজ। এ সময় রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ভাই কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীনউপস্থিত ছিলেন। প্রেস ক্লাবেজানাজা শেষে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ নেওয়া হয় জন্মস্থান নরসিংদীর মনোহরদীতে। পরেমনোহরদী উপজেলার নারান্দী চীন মৈত্রী কেন্দ্রের সামনে শরাফত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাদ জোহর আরেকটি জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় এলাকার শত শত মানুষ অংশ নেন।পরে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ রাজধানীর বনানীতে নেওয়া হয়। সেখানেই মায়ের কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। ইংরেজি সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই খ্যাতিমান সাংবাদিক প্রায় ৫০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রধান সম্পাদক, দি নিউজ টুডে সম্পাদক ও প্রকাশক, ডেইলি টেলিগ্রাফ সম্পাদক, ডেইলি স্টারের উপ-সম্পাদক ছিলেন। রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন কিছু দিন। ছাত্রজীবনে তিনি প্রথমে ছাত্রলীগ ও পরে বাংলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিএফইউজের সভাপতি, মহাসচিব, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাংবাদিকদের ফেডারেশন সমন্বয়ে গড়া দক্ষিণ এশিয়া সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। | রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ,সাংবাদিক,রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের জীবনাবসান,জানাজা অনুষ্ঠিত | জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে রোববার সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/171023/ভারতের-মতো-চীনরাশিয়াকে-পাশে-চান-কাদের | 'ভারতের মতো' চীন-রাশিয়াকে পাশে চান কাদের |
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার- আমাদের যা আছে তা ভাগাভাগি করে রোহিঙ্গারা যতদিন থাকবে ততদিন আমরা তাদের পাশে থাকবো। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উদ্বেগ ও সহানুভূতির ভাষা আমাদের মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি চীন, রাশিয়া আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। ভারত আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আমরা আশা করবো, ভারতের মতো চীন ও রাশিয়া আমাদের পাশে থাকবে।রোববার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমে সামান্য বিশৃঙ্খলা ছিল, কিন্তু এখন সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে গোটা এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে; ত্রাণ বিতরণে সমন্বয় ফিরে এসেছে। ক্যাম্পের সড়ক, স্যানিটেশন ও অস্থায়ী শেড নির্মাণের ব্যবস্থা করছে সরকার। রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের অস্থায়ী নিবাস হিসেবে ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হবে।রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ড মানব সভ্যতার বিরুদ্ধে, এই হত্যাকাণ্ড গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, এই হত্যাকাণ্ড মানবতার বিরুদ্ধে, শান্তির বিরুদ্ধে। আজ যারা রাখাইনকে অশান্তিতে পরিণত করেছে, যারা রোহিঙ্গাদের স্বদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে শান্তিকামী বিশ্ব তাদের পক্ষ সমর্থন করবে না, এটাই আমরা আশা করবো।'এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মানবিক নেত্রী হিসেবে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কক্সবাজারের ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে সোলার লাইট সংযুক্ত করে রোহিঙ্গা পল্লীগুলোকেও আলোকিত করা হবে।মিয়ানমারের এক মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'মিয়ানমারের মন্ত্রী দুইদিনের মধ্যে রেসপন্স করবেন এবং মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্মানের সাথে স্বীকৃতি দিয়ে সেদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
| ওবায়দুল কাদের,সেতুমন্ত্রী,রোহিঙ্গা,রোহিঙ্গা সংকট | রোববার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/220298022/দেশীয়-মাছ-সংরক্ষণে-সম্মিলিতভাবে-কাজ-করার-আহ্বান-প্রাণিসম্পদ-মন্ত্রীর | দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর | দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান
জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বুধবার পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক
মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ
ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী
এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, 'দেশি মাছ সংরক্ষণের সরকার কাজ করছে।
দেশে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছিল। এ মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা হারিয়ে যাওয়া ৩১ প্রজাতির মাছ গবেষণার
মাধ্যমে নতুন করে ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে।
দেশের কোন প্রান্তে দেশীয় মাছের সংকট দেখা দিলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা এনে সংকটাপন্ন
এলাকায় অবমুক্ত করা হবে। এতে কোন অঞ্চলে হারিয়ে যাওয়া মাছ আবার ফিরে আসবে। এটা সম্ভব
হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুপরিকল্পিতভাবে মৎস্যসম্পদকে সামনে এগিয়ে
নিয়ে আসার কারণে।' তিনি আরো বলেন, 'মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলবো, পোনা
মাছ যেন কেউ আহরণ না করে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে ছোট মাছ যেন নষ্ট না হয়ে যায়।
মৎস্য খাতকে সবাই মিলে যত্নের সাথে লালন করতে হবে। দেশীয় মাছ ও শামুক যেন কোনভাবেই
ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।' অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, 'একটা মা ইলিশ পাঁচ
থেকে ছয় লক্ষ ডিম দেয়। সরকারের উদ্যোগে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন বন্ধ করার কারণে এখন
সারাদেশে বড় বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। শীত মৌসুমেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগে
মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবী ও জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।' পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
সাঈদুর রহমান ও বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব
ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হুমায়ুন
কবীর, মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া
হায়দার চৌধুরী, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক
এস এম আশিকুর রহমান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ
রায় চৌধুরীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মৎস্য
অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায়
জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে গাভী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী। এছাড়া সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে
৪৩তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা, ষষ্ঠ
জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং বিজ্ঞান বিষয়ক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের
মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। | শ ম রেজাউল করিম,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী,দেশি মাছ,দেশীয় মাছ,শামুক,সংরক্ষণ | মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম | national |
https://samakal.com/whole-country/article/210355110/প্রতিবন্ধী-যুবককে-সন্তান-দাবি-দুই-পরিবারের-থানায়-মানুষের-ভিড় | প্রতিবন্ধী যুবককে সন্তান দাবি দুই পরিবারের, থানায় ভিড় | রংপুরের মিঠাপুকুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক যুবককে সন্তান দাবি করেছে দুই পরিবার। এ নিয়ে রোববার রাতে মিঠাপুকুর থানায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অভিভাবকের কাছে ওই যুবককে হস্তান্তরের ঘোষণা দেয় পুলিশ। ওই যুবকের নাম ঠিকানাও মিলেছে একাধিক। এক পরিবারের দাবি অনুযায়ী তার নাম মো. নাহিদ (২৬), বাবা ফজলু মিয়া, মা লালমাই বেগম। গ্রামের বাড়ি উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের রশিদপুর। অন্য পরিবারের দাবি ওই যুবকের নাম লিটন মিয়া (২২)। তার বাবার নাম মো. ওয়াহেদ আলী, মা নিলফুা বেগম। বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মিঠাপুকুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ফজলু মিয়ার দাবি, তার প্রতিবন্ধী ছেলে নাহিদ ৪ বছর আগে উপজেলা সদর থেকে হারিয়ে যায়। খোঁজ করে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় তার সন্ধান মেলে। সেখানে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে নাহিদ ভিক্ষা করে বলে জানান ফজলু-লালমাই দম্পত্তি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ওই যুবককে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের ওয়াহেদ ও নিলুফা দম্পত্তি থানায় এসে ওই যুবক তাদের সন্তান বলে দাবি করেন। ফজলু-লালমাই দম্পত্তি বলেন, নাহিদ হারিয়ে যাওয়ার পর আশুলিয়ায় রাস্তায় তাকে ভিক্ষা করতে দেখেন তারা। একটি প্রতারক চক্র তাদের ছেলেকে নিয়ে গিয়ে ভিক্ষুক বানায় বলে অভিযোগ করেন তারা। চক্রটি তাদের সন্তানকে ফেরত দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা। অন্যদিকে, ওয়াহেদ ও নিলুফা দম্পত্তি বলেন, সন্তান তাদেরই। তার নাম লিটন। তার নামে ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে। এখন পর্যন্ত তারাই ভাতার টাকা উঠান। এভাবে দুই পরিবার তাদের দাবি পক্ষে বিভিন্ন প্রমাণপত্র পুলিশের কাছে উপস্থাপন করেন। কেউ ছাড় দিতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে থানার প্রধান ফটকের সামনে ফজলুর পক্ষের শতশত মানুষ জড়ো হয়ে সন্তান ফিরে পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভকারীদের চলে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু সন্তান ছেড়ে বাড়ি ফিরতে রাজি হননি তারা। পরে ওসি আমিরুজ্জামান ও লতিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডল ঘোষণা দেন, সন্তান দাবি করা দুই বাবা-মা এবং প্রতিবন্ধী ওই যুবকের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট যার পক্ষে আসবে-তাদের কাছে সন্তান ফেরত দেওয়া হবে। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানা থেকে লোকজন চলে যায়। মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান সমকালকে বলেন, প্রতিবন্ধী ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | মিঠাপুকুর,সন্তান দাবি | থানার সামনে মানুষের ভিড় | national |
https://www.ajkerpatrika.com/165044/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E2%80%98%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%82%E2%80%99-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF | মধুপুরের 'ছেওগাং' জলমহালের ইজারা বাতিল করার দাবি | মধুপুরের মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের 'ছেওগাং' জলমহালের ইজারা বাতিল ও জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চার গ্রামের বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা মিলে এ মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনে বক্তারা জানান, বংশাই নদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো 'ছেওগাং'। এই অংশটিতে যুগ যুগ ধরে আম্বাড়ীয়া, মোল্লাবাড়ী, বিষ্ণাইপাল, দড়িহাসিলসহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে আসছেন। মৎস্যজীবীরা ওই বিল থেকে মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীরা মিলে 'ছেওগাং ফিশারিজ' নামে একটি সংগঠন করে সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে লিজ নেয়। লিজের বরাদ্দপত্র হাতে পেয়েই ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম তাঁর লোকজন নিয়ে প্রায় সাড়ে ২১ একরের বিশাল জলমহাল 'ছেওগাং' দখলে নেন।এরপর থেকে এলাকাবাসীকে গোসল, কাপড় কাঁচা, গরুর গোসল করানো, পাট পচানো, মাছধরা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জলমহাল ব্যবহার করতে গেলে তাঁদের ভয়ভীতি দেখানোসহ বিভিন্ন সময়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক মামলাও করা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এতে এলাকাবাসী তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ সময় 'ছেওগাং ফিসারি'র নামে জলমহালের লিজ বাতিল করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি তোলা হয়।মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. গোলাম মোস্তফা। এতে বক্তব্য দেন মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, মো. লাল মিয়া, মোসা. শাহিদা বেগম, আব্দুল বাসেদ, আব্দুল কাদের আকন্দ, আব্দুল মজিদ প্রমুখ।জনগণের দাবির মুখে মধুপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন, মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাদিকুল ইসলামসহ ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা উপস্থিত হয়ে আলোচনায় বসেন। তাঁরা ছেওগাং এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পুরো বিষয়টি এবং এলাকাবাসীর দাবি প্রতিবেদন আকারে জেলা প্রশাসকের কাছে পেশ করার প্রতিশ্রুতি দেন। | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,মানববন্ধন,মধুপুর,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,আজকের টাঙ্গাইল | 'ছেওগাং' জলমহালের ইজারা বাতিলের দাবিতে গতকাল মধুপুরে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/02/01/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8-%e0%a6%93-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%98%e0%a6%b0/ | পাবনায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫ | পাবনার সাঁথিয়ায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে রফিক নামে ট্রাকের হেলপার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। আজ শুক্রবার পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের সাঁথিয়ার ছোন্দহ নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সরকার ট্রাভেলস ও বিপরীত দিক থেকে একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ট্রাকটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই রফিক নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাঁথিয়ার মাধপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আবদুল খালেক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বেড়া ও শাহজাদপুরের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হাতাহতদের উদ্ধার করে। | null | বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে হেলপার নিহত | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/12/11/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%81-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9b%e0%a7%8b-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%b2/ | 'বাবু খাইছো' গানে মামলা খেলেন হিরো আলম | 'বাবু খাইছো' গান গাওয়ায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সোলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য ও সংগীত পরিচালক মীর মাসুম। আলোচিত 'বাবু খাইছো' গানের শিরোনাম, কথা, সুর চুরি ও বিকৃত করার অভিযোগে হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেছেন তিনি। গত ৬ ডিসেম্বর ডিজিটাল সুরক্ষা আইনের ২২-২৩-২৪ ধারায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে বাদী মীর মাসুমের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী দিদার-উস-সালাম। এ আইনজীবী জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত সিআইডিতে পাঠিয়েছেন। মীর মাসুম বলেন, আমার সৃষ্টিকে চুরি ও বিকৃত হতে দেখলাম। আবার বিকৃত করে তা দিয়ে অর্থ উপার্জনও করছে হিরো আলম। এটাকে চুরি বলাও ঠিক হবে না, বরং এটি ডাকাতি। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা যেকোনো শিল্পীর জন্য অপমানজনক। আমি তারই বিচার চাই আইন ও রাষ্ট্রের কাছে। আশা করছি, সুবিচার পাবো। তবে হিরো আলম বলছেন, ওরা যে গানটি ছেড়েছে তা নিয়েই প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। ওটা কোনো গানের ক্লাসের মধ্যেই পড়ে না। তারপরেও তারা গানটি করেছে। 'বাবু খাইছো' শব্দটা ফেসবুকে প্রচলিত শব্দ। সবাই বলে, লেখে। ওরা গানের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে বলে ওদের হয়ে গেল? সবার আগে আমার কথা হলো আমি কোনো গায়ক না, আমি শখে গেয়েছি। এতে কারো ক্ষতি হবার কথা না। উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে মুক্তি পায় একক নাটক 'বাবু খাইছো?'। মুক্তির দুই মাসের মধ্যে নাটকটির ভিউ ১ কোটি ছাড়িয়েছে। মূলত এই নাটকের শিরোনাম সংগীত তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। 'বাবু খাইছো' শিরোনামের গানটির কথা ও কণ্ঠ দেন মীর মারুফ। এদিকে এই গানের সূত্র ধরে হিরো আলমও একটি গান গেয়েছেন। | গান,বাবু খাইছো,মামলা,হিরো আলম | হিরো আলম | entertainment |
https://www.prothomalo.com/business/economics/চাষাবাদ-নিয়ন্ত্রণে-বাঁচবেন-কৃষক | চাষাবাদ নিয়ন্ত্রণে বাঁচবেন কৃষক | দুই দশক আগে রাজশাহীতে এক বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ পড়ত ৬০০ টাকা। তখন আলু বিক্রি হতো ১০ টাকা কেজি দরে। এখন একই পরিমাণ জমিতে আলুর আবাদে খরচ বেড়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ২০ বছর পরে এসেও হিমাগার পর্যায়ে চাষিদের সেই ১০-১২ টাকা কেজি দরেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাহিদার অতিরিক্ত আলু উৎপাদনের কারণেই দাম নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কৃষকেরা কেবল আলুর উৎপাদনই বাড়াতে শিখেছেন, কিন্তু বেশি দামে বিক্রির কোনো উপায় তাঁদের জানা নেই। সরকার বা কৃষি উৎপাদন ও বিপণনে সম্পৃক্ত করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও কৃষকদের জন্য কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারেনি। এর ওপর করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের দিয়ে আলুর চাষ বাড়িয়ে চলেছে। অন্যদিকে দাম কম বলে ঋণগ্রস্ত কৃষকেরা হিমাগারে রাখা আলু বিক্রি করতে পারছেন না। আলু উৎপাদন করতে গিয়ে তাঁদের পথে বসতে হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে এবার ১ কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। বীজ আলুসহ দেশে চাহিদা রয়েছে ৮৯ লাখ মেট্রিক টন। এতে ২০ লাখ টন আলু অবিক্রীত থাকতে পারে। এই আলুর ভার এসে পড়ছে চাষিদের ওপর। কৃষকদের এমন দুরবস্থার সমাধানে সম্প্রতি রাজশাহীতে এক সেমিনারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন আলু চাষের জন্য কোটা বা প্রাইমারি লাইসেন্স (পিএলসি) পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর মতে, এই পদ্ধতিতে চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে চাষিদের আলুর জমির কোটা বা পরিমাণ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। ফলে অতিরিক্ত আলু অবিক্রীত থাকবে না। কিন্তু ওই সেমিনারের প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন বিভাগের পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম পিএলসি প্রস্তাবের বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে আমরা কোটা বা পিএলসি করতে পারি না। কোনো দেশই পারে না। যিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি না জেনে তা করেছেন।' যোগাযোগ করা হলে এম মনজুর হোসেন জানান, তিনি জেনেশুনেই প্রস্তাবটি দিয়েছেন। ডব্লিউটিওর এমন শর্ত নেই যে কোনো দেশ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কৃষিপণ্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, জাপান এক বছর ধান উৎপাদন করলে ছয় বছর খেতে পারে। সে জন্য তারা এক বছরে সব ধানের জমিতে ধান উৎপাদন করে না। এভাবে কানাডায় আলুর উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ভারতের নয়াদিল্লিতেও কেউ ইচ্ছেমতো যত খুশি আলু চাষ করতে পারেন না। ডব্লিউটিওর শর্ত অনুযায়ী সরকার অবশ্যই নিজ দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এতে কোনো বাধা নেই। | বাণিজ্য,বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিভাগ,কৃষক | রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার একটি হিমাগারের শ্রমিকেরা আলু বাছাই করছেন। গত বুধবার তোলা ছবি। | economy |
https://samakal.com/bangladesh/article/19041431/হত্যা-বিচার-বিভাগীয়-তদন্ত-চায়-টিআইবি | নুসরাত হত্যা: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় টিআইবি | ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও যোগসাজশের যে অভিযোগ উঠেছে, তার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নৃশংসতা এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তা অকল্পনীয়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে দায়ী ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোরতম প্রয়োগ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রত্যাশিত দ্রুততায় এজাহারভুক্ত আসামিদের পুলিশের গ্রেফতারই যথেষ্ট নয়। আমরা আশা করি, তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে ও দোষী ব্যক্তিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। কিন্তু এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও যোগসাজশের যে অভিযোগ উঠেছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। তিনি বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ওই পুলিশ কর্মকর্তা নুসরাতের অভিযোগ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আমলে নেননি। বরং অভিযোগটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি নুসরাতকে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পরও ওই পুলিশ কর্মকর্তা একে আত্মহত্যার চেষ্টা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। ড. জামান বলেন, এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা তথা সার্বিকভাবে পুলিশ প্রশাসনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এ জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দরকার। কারণ পুলিশ বাহিনী যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করলে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। পুলিশের নিজস্ব তদন্ত এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দোষীরা কেউ ছাড়া পাবে না বলে প্রধানমন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছেন তার যথাযথ বাস্তবায়ন দেখতে চায় দেশের মানুষ। | নুসরাত জাহান রাফি,সোনাগাজী,পুড়িয়ে হত্যা,টিআইবি | নুসরাত জাহান রাফি | national |
https://samakal.com/capital/article/20019239/ছাড়লেন-ধর্ষণের-শিকার-ঢাবি-ছাত্রী | হাসপাতাল ছাড়লেন ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রী | হাসপাতাল ছেড়েছেন ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে তিনি ছাড়পত্র পান। এখন থেকে ওই শিক্ষার্থী একটি শেল্টার হোমে থাকবেন। তবে তার নিরাপত্তা বিবেচনায় শেল্টার হোমের ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না। হাসপাতাল ছাড়ার আগে ওই ছাত্রীর বাবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কাছে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, হাসপাতাল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমসহ সবাই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, মেয়েটি খুব সাহসী। এত বড় একটি বিষয় ফেস করেছে। হাসপাতালসহ সবার সহযোগিতা পাওয়ায় মেয়েটি বড় কোনো ট্রমার মধ্যে ছিল না। তার চিকিৎসায় সাত সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ধর্ষণের কারণে মেয়েটি যাতে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত না হয়, তার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ফলোআপে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, ছাত্রীর বাবা তাকে হাতে লেখা একটি চিঠি দিয়েছেন। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, ১২ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর বিভাগীয় ফাইনাল পরীক্ষা। ওই পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই ছাত্রী। | ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ,ধর্ষক মজনু,ধর্ষণ | ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ছাত্রী | national |
https://www.ajkerpatrika.com/60932/%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AD%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0 | বছরে ১৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি করে ইঁদুর | ইঁদুরের উপদ্রবে দেশে বছরে ১ হাজার ৭২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। মানুষের খাবার ও ফসল নষ্ট করা ছাড়াও ইঁদুর ওয়াপদার বাঁধেরও ক্ষতি করে। পাইকগাছায় জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন ও বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল শনিবার বক্তারা এমন তথ্য জানান।উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু। শেখ তোফায়েল আহমেদ তুহিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা প্রমুখ। | খুলনা বিভাগ,পাইকগাছা,খুলনা,ছাপা সংস্করণ,খুলনা সংস্করণ,আজকের খুলনা | পাইকগাছায় জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধন করেন সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান বাবু। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/2888/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%AE%E0%A6%95 | পশ্চিমবঙ্গে মমতার চমক | ২ মে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছেন।আসামে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গড়ছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। কেরালায় আবার সরকারে যাচ্ছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামপন্থীরা।তামিলনাড়ুতে এক দশক পর ক্ষমতায় ফিরছে ডিএমকে-কংগ্রেস জোট। পদুচেরিতে জয় পেয়েছে বিজেপি জোট। পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশ হলেও বাংলাদেশে বেশি আগ্রহ, কৌতূহল এবং আলোচনা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে। কেরালায় এত দুর্যোগকালেও বামপন্থীরা কীভাবে জনসমর্থন ধরে রাখতে সক্ষম হলো, সেটি কম কৌতূহলোদ্দীপক নয়। তবে আমরা তা নিয়ে তেমন মাতামাতি করছি না। আমাদের দেশে অনেকের মধ্যেই ব্যাপক স্বস্তি দেখা যাচ্ছে বিজেপি পরাজিত হওয়ায়। বাংলাদেশে যারা ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সমর্থক, ধারক-বাহক-পৃষ্ঠপোষক, তারাও বিস্ময়করভাবে ভারতে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সমর্থক। এ দেশে চাই ইসলামি শাসন, কিন্তু ভারতে হিন্দুত্ববাদী শাসন কখনো নয়।প্রচার-প্রচারণা দেখে আশঙ্কা করা হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গে বুঝি রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্তকারী ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ক্ষমতায় এসেই যাবে।কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় বসার জন্য আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছিল কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর প্রধান মন্ত্রণাদাতা, ভারতের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে পরিচিত অমিত শাহ তাঁদের অন্য সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। একটাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য-যেকোনো উপায়ে হারাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা যায়, একজন নারী হয়ে মমতা একা লড়েছেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্যবুদ্ধিধর বলে পরিচিত প্রবল প্রতাপশালী সব পুরুষ নেতার বিরুদ্ধে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের অনুকূলে রাখার জন্য সব আয়োজনই করেছিল বিজেপি এবং দিল্লির কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠী। নজিরবিহীন লম্বা সময় ধরে মোট আট দফায় ভোট হয়েছে। ২ মে ফলাফল ঘোষণার পর বিষ গেলার মতো করে মমতাকেই বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে হয়েছে মোদি-শাহ জুটিকে।পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার এবারের নির্বাচনে মমতা বন্দোপ্যাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস যতটা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়েও ভালো ফল করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ব্যক্তিগতভাবে নন্দীগ্রামে অল্প ভোটে পরাজিত হলেও ২৯২ আসনের মধ্যে ( মোট ২৯৪ আসনের মধ্যে ২ আসনে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত হয়েছে ) ২১৩ আসন পেয়ে রেকর্ড গড়েছে তৃণমূল। নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়েছিল, তাতে কেউ কেউ এমন আশঙ্কাও করছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার তৃণমূল নির্মূল হয়ে যাবে। কিন্তু ভোটের ফল বলছে, তৃণমূল আছে মানুষের মর্মমূলে। মমতাকে মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে তাকে আরও বেশি জনগণের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বহর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব, ভিনরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসন যন্ত্র, সিবিআই, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সর্বশক্তি নিয়ে নেমেও মমতাকে হারাতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনের কারণ খুঁজতে বসে গেছেন রাজনীতি বিশ্লেষক ও পণ্ডিতেরা। অনেক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হবে, বিজপির অনেক ত্রুটি এখন ধরা হবে, নানা কারণ বের করে চলবে আলাপ-আলোচনা। কিন্তু তাতে মমতার তৃতীয়বারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ঠেকানো যাবে না। মমতাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে গিয়ে এখন উল্টো মোদি-শাহের কপালে দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট হবে। কারণ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদিবিরোধী রাজনীতির প্রধান এবং উজ্জ্বল মুখ হয়ে উঠবেন মমতা-এমন কথা এখনই উচ্চারিত হচ্ছে।ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মমতার পক্ষে কয়েকটি 'ম' বিশেষ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। প্রথম ম হলো মহিলা অর্থাৎ নারী ভোট। মমতা নারী হওয়ায় নানা কুৎসিত প্রচারণা চালানো হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি নরেন্দ্র মোদিও তাঁকে 'দিদি, ও দিদি' বলে প্রকাশ্য জনসভায় এমন অভব্য অঙ্গভঙ্গি করেছেন, যা ভালোভাবে নেননি পশ্চিমবঙ্গের নারীরা। নারীদের জন্য মমতার সরকার কিছু বাড়তি সুবিধাও দিয়েছেন নানা সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে। তাই মমতাকে ক্ষমতায় রাখতে নারীরা আগের তুলনায় এবার বেশি সংখ্যায় তাঁর ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতীকে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।দ্বিতীয় ম হলো মধ্যবিত্ত সমাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলনবলন সবই মধ্যবিত্তদের জীবনাচারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ভদ্রলোকেরা তাঁকে অপছন্দ করলেও মধ্যবিত্তরা মমতাকে নিজেদের লোক বলেই মনে করেন। মমতার ১০ বছরের শাসনকালে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বঞ্চিত বোধ করেনি। মধ্যবিত্তদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িও কম। বিজেপি হিন্দুত্ব নিয়ে অহম্প্রচারের যে নগ্ন চেষ্টা চালিয়েছে, তা মধ্যবিত্তদের মনে গভীর রেখাপাত করেছে বলে মনে হয় না। বরং বিজেপি ক্ষমতায় এলে উচ্চবিত্ত ও হিন্দুদের মধ্যে যারা জাতপাত নিয়ে বিভাজনে আগ্রহী, তাদের দাপট বাড়বে-এমন শঙ্কা থেকেও মধ্যবিত্তরা মমতার পক্ষে দাঁড়ানোকেই নিরাপদ মনে করেছে।তৃতীয় ম হলো মুসলমান জনগোষ্ঠী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুসলিমবান্ধব বলে প্রচার করে বিজেপি প্রকারান্তরে তাঁর উপকারই করেছে। মুসলমানদের মধ্যে এই আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল যে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাঁদের জীবন-জীবিকা অনিরাপদ হয়ে উঠবে। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোট কম নয়। প্রায় ২৭ শতাংশ বলে জানা যায়। আগে এই ভোট বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলে বিভক্ত হলেও এবার তা প্রায় একচেটিয়াভাবে মমতার পক্ষে গেছে বলে মনে করার যুক্তিসংগত কারণ আছে। বাম এবং কংগ্রেসের ভুল রাজনৈতিক কৌশল এবার তাদের একেবারে তলানিতে নিয়ে গেছে। ৩৪ বছর রাজ্য শাসন করে বামপন্থীদের এই শোচনীয় অবস্থা আলাদা গবেষণার বিষয় হওয়া দরকার। কংগ্রেসের রাজনীতিও যে আর সাধারণ মানুষের মেজাজ-মর্জি বুঝে পরিচালিত হচ্ছে না, সেটা বোঝা যায় নির্বাচনে দলটির হতশ্রী দশা দেখেই।আর শেষ ম 'ম'মতা নিজেই। তাঁর নামের অর্থই বুঝি তাঁর প্রতি ভোটারদের মমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে গিয়ে পায়ে আঘাত পান মমতা। তখন থেকে তাঁর সঙ্গী হয় হুইলচেয়ার। তাঁর এই চোট পাওয়া বা আহত হওয়া নিয়েও কম পানি ঘোলা করেনি তাঁর প্রতিপক্ষ শিবির। বলা হয়েছে, এটি তাঁর অভিনয়, সাজানো নাটক। তবে এটি যদি নাটক বা অভিনয়ও হয়ও, তবু বলতে হবে-এখানেও মমতা পারদর্শিতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন। পোশাক-আশাকে আটপৌরে মমতা হুইলচেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে মানুষের সহানুভূতি পেয়েছেন কিছুটা বেশি মাত্রায়। বিজেপি শিবিরের আত্মবিশ্বাস ও ঔদ্ধত্যের জবাব মানুষ দিয়েছে ভোটের যন্ত্রে টিপ দিয়ে। মমতাও হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়েছেন।মোদি-শাহ রণদামামা বাজিয়ে ভোটের মাঠে নামলে মমতা বলেছিলেন, 'খেলা হবে'। ভোট রাজনীতিতে তিনি যে দক্ষ খেলোয়াড়, সেটি তিনি প্রায় একা খেলেই জয় ছিনিয়ে এনে প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যে বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে, তা-ও স্পষ্ট হয়েছে।ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যে সব অঞ্চলে সবসময় একই রকম সাফল্য পাওয়া যায় না, বিজেপি কি তা বোঝার চেষ্টা করবে? ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে বিভক্ত একটি দেশে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি কখনো কখনো বুমেরাংও হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচনের ফলাফল অন্তত তাই বলেছে।পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় এবং মমতার তৃণমূলের জয়ের ফলে সেখানে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির বিজয় হয়েছে বলে উল্লসিত হওয়ারও কিছু আছে বলে মনে হয় না। কেউ কেউ বরং মনে করছেন, সেখানে একটি উগ্রবাদী ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক ধারা পরাজিত হলেও প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ বা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ধারার বিজয় হয়নি। সেখানে যেটা হয়েছে, তাকে অনেকে মন্দের ভালো মনে করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর নরেন্দ্র মোদি একধারার রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব না করলেও আদর্শগত জায়গায় মমতার দৃঢ়তাও সন্দেহমুক্ত নয়। মমতার মধ্যেও নানা স্ববিরোধিতা আছে। ক্ষমতার রাজনীতির যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তাতে মমতা সততা ও উদারতার ধারক-বাহক, তেমনটা বলা যাবে না। গণতন্ত্র চর্চার পরিসর তিনিও কম সীমিত করে আনেননি।বিশৃঙ্খলতা ও হিংস্রতামুক্ত রাজনীতির পথ তিনি ১০ বছরে কতটা মসৃণ করেছেন, সে প্রশ্ন আছে। মারের বদলে মার-এই নীতি অনুসরণ করে পশ্চিমবঙ্গে যে অগ্নিগর্ভ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তার দায় থেকে মমতাকে মুক্তি দেওয়া যাবে না।অর্থনীতি ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি সাধনের প্রতিযোগিতা না করে হিংস্র, কদর্য ও সংঘাতের পরিবেশ তৈরিতে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকা সব রাজনৈতিক দল এবং বর্তমান কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে একসঙ্গেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়। নির্বাচনী প্রচারকালে যে হানাহানি, রক্তপাত, গুলি-বোমার মহড়া এবং খুন-জখমের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো একতরফা ছিল না। ভোট ভিক্ষুক, ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতিকেরা এখন নীতিপঙ্গুতার শিকার। সেটা কোনো একটি মাত্র দলে আছে তা-ও নয়। মমতার বিজয়ে তাই এটা মনে করার কারণ নেই যে এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিতে শীতল হাওয়া বইবে। বরং দেখে নেওয়ার জেদ ও প্রবণতা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, নজর রাখতে হবে সেদিকে। বিজেপি-আরএসএস রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়ে ৩ থেকে ৭৭টি আসনে পৌঁছে যে বিপদসংকেত দিয়েছে, তা খাটো করে যেমন দেখা যাবে না, তেমনি এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নিয়েও ভাবতে হবে।এটা ঠিক যে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু উভয়ের রক্ষাকবচ। নানা ধর্ম ও মতের, নানা জাতের ও চিন্তার মানুষের একটি দেশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারে কেবল ধর্মনিরপেক্ষ নীতি। ধর্মভিত্তিক ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। ধর্মকে ব্যক্তিজীবনের চর্চার মধ্যে রাখাই মঙ্গল। রাজনীতির কূটজালে ধর্মকে জড়ালে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। ধর্মমুক্ত রাজনীতি সব ধর্মের, সব সম্প্রদায়ের এবং সব দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর ও পৃথিবীর জন্যেও শুভ।তবে সেই আদর্শ রাজনীতির চালকের আসনে বসার মতো যোগ্য মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি না, তা নিয়ে আছে বিরাট প্রশ্ন। বড় হওয়ার প্রতিযোগিতা করার মতো বড় মানুষের অভাব অনেক দেশের রাজনীতিতেই প্রকট। | উপসম্পাদকীয় | পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছেন | opinion |
https://www.bd-pratidin.com/probash-potro/2020/08/05/554006 | ড. নীনাকে ওবামার সমর্থন | পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. নীনা আহমেদকে সমর্থন দিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত ৩ আগস্ট এক বিবৃতিতে ওবামা উল্লেখ করেছেন যে, নিষ্ঠাবান সমাজ সংগঠক এবং স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালনে বিশেষভাবে পারদর্শী, অভিবাসী সমাজেরই শুধু নয় গোটা আমেরিকার সার্বিক কল্যাণে পরীক্ষিত ড. নীনাকে জয়ী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্টেটভিত্তিক কোন নির্বাচনে এই প্রথম কোন বাংলাদেশি বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। ওবামার সমর্থনের ব্যাপারটি পেনসিলভেনিয়া স্টেটের দল-নিরপেক্ষ ভোটারের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে। বিডি-প্রতিদিন/শফিক | null | ড. নীনা আহমেদ | life-health |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/09/30/696566 | বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু | বগুড়ার শাজাহানপুরে ঢাকাগামী একটি বাসের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার আড়িয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সাব অফিসার সিদ্দিকুর রহমান স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে জানান, বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া বাজার এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পাশে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই পথচারী। এসময় ঢাকাগামী একটি বাস অভারটেক করতে গিয়ে পথচারীকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিডি প্রতিদিন/এমআই | বগুড়ায়, সড়ক, দুর্ঘটনায়, বৃদ্ধের, মৃত্যু | গাড়িতে তোলা হচ্ছে বৃদ্ধের মরদেহ। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/36205/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F | নারায়ণগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগে জালিয়াতি অমার্জনীয়: টিআইবি | নারায়ণগঞ্জে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি)। এ ঘটনায় অধস্তন কর্মকর্তাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে টিআইবির পক্ষ থেকে এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত উচ্চপদস্থসহ সকলের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জানানো হয়েছে। আজ রোববার টিআইবির পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে জেলা কোটায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং পুলিশ ভ্যারিফিকেশন রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে, যা ২০২০ সালে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এক তদন্তে উঠে এসেছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই তদন্ত রিপোর্টের তথ্যে দেখা যায়, নিয়োগপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের অন্তত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র দাখিল করে চাকরিতে নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন ৫জন একই নিবন্ধন নম্বরের জমির দলিল প্রদান করেছে এবং অন্তত ১১ জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২৩ দিন পর একই তারিখে, হুবহু একই মৌজা, দাগ ও খতিয়ানে একই সিএস, এসএ ও আরএস নম্বরে নিবন্ধিত জমির দলিল জমা দিয়েছে, যা আদতে অসম্ভব ও অবিশ্বাস্য! অথচ যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গেছেন কিংবা গোপন করে ইতিবাচক রিপোর্ট প্রদান করেছেন, যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব নয় বলেই ধারণা করা যায়।এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ড. জামান বলেন, পুলিশের চাকরিতে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র দাখিলের পরও মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়োগের কোনো নৈতিক বা আইনগত ভিত্তি ও সুযোগ নেই। তাই সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার কি উদ্দেশ্যে এমন নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে তার সুরাহা হওয়া দরকার। একই সঙ্গে এই নিয়োগে কোনো অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়েছিল কি-না সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। সংশ্লিষ্ট উচ্চপদে অধিষ্ঠিত থেকে অধস্তন কর্মকর্তাদের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেকে দায়মুক্ত প্রমাণের চেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য। এ প্রসঙ্গে বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক 'কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না মর্মে ১৪ সেপ্টেম্বর যে অঙ্গীকার করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে টিআইবি মনে করে।'প্রকাশিত এই ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীতে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির বহুল প্রচারিত 'কথিত গুজব'-এর প্রমাণ হিসেবে দেখা যেতে পারে মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি ও জালিয়াতির কথা শোনা গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা স্বীকার করা হয় না। তাই নারায়ণগঞ্জের এই ঘটনা 'হিমশৈলের চূড়ামাত্র' এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না। এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে এই ধরনের অনিয়মের বেপরোয়া পুনরাবৃত্তি রোধ সম্ভব হবে না এবং অপরাধীরা আরও দুঃসাহসী হয়ে উঠবে; যা চূড়ান্ত বিচারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার সংকট আরও প্রকট করবে। | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,নিয়োগ,টিআইবি,কনস্টেবল | নারায়ণগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগে জালিয়াতি অমার্জনীয় টিআইবি | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/08/17/681476 | পিরোজপুরে সিরিজ বোমা হামলার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন | ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের টাউন ক্লাব সড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করে পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাসেল পারভেজ রাজা, সহ-সভাপতি লুবনা আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, সৈয়দ এমরান আহমেদ, মৃনাল কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক সুমন সিকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল শিকদারসহ অন্যান্যরা।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির | সিরিজ, বোমা, হামলার | পিরোজপুরে সিরিজ বোমা হামলার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2020/08/06/554357 | অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন ওএসডি | রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবিরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ন্যস্ত করা হলো। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | মাহবুব কবির মিলন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/06/05/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-17/ | প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অগ্নিদগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যান আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল অগ্নিকাণ্ডে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন। পরে সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। নেত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং চট্টগ্রামের ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছেন অগ্নিদগ্ধদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে। অগ্নিদগ্ধদের যেখানে রক্তের প্রয়োজন হয় সেখানেই তারা রক্ত দান করবে। তিনি বলেন, যারা এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। যারা আহত হয়ে চিকিৎসারত আছেন আমরা আশা করি তারা সুচিকিৎসার মধ্য দিয়ে অতি শীঘ্রই এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করবেন। প্রধানমন্ত্রী তরফ থেকে কি বার্তা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে এখানে পাঠিয়েছেন। গতকাল মধ্যরাত থেকে নেত্রী এই বিষয়ে সকল খোঁজখবর নিচ্ছেন। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন। অপরদিকে চট্টগ্রামের যারা আহত হয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. রুহুল হক ও স্বাস্থ্য- জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানাকে এজন্য বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিকে ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রামে থেকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবাদানে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। চট্টগ্রামের যেসকল রোগীরা রয়েছেন এবং ঢাকায় যে সকল রোগীরা এসেছেন সকলের বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানক আরও জানান, বার্ন ইউনিটে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার সামন্ত লাল সেনকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি যেন চট্টগ্রামে সরজমিনে গিয়ে অগ্নিদগ্ধদ আহতদের দেখে আসে। এজন্য আগামীকাল তিন সদস্যবিশিষ্ট ডাক্তারদের টিম চট্টগ্রামে আহতদের দেখতে যাবেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। | অগ্নিকাণ্ড,চিকিৎসা,প্রধানমন্ত্রী | ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধদের খোঁজখবর নিচ্ছেন এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। | national |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/ঢের-হয়েছে-পাশবিকতার-সংজ্ঞাটা-এবার-বদলাক | ঢের হয়েছে, পাশবিকতার সংজ্ঞাটা এবার বদলাক | অভিধানটা খুলে বসলাম। মানব শব্দের বিশেষণ লেখা, মানবিক। মনুষ্যোচিত, মনুষ্যসুলভ, লোকহিতকর, মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন বলে যা কিছু প্রতিপন্ন সবই মানবিক। শব্দটির অর্থের ব্যাখ্যা এটাই। একই অভিধান বলছে, পাশবিক শব্দের অর্থ পশুবৎ। মানে পশুর মতো আচরণ। অভিধান খুলে রেখে ভেবেই চলেছি, পশুসুলভ আচরণের চরিত্র বা বৈশিষ্ট্যগুলো কেমন। বাড়ির সামনে একপাল কুকুর থাকে। আমরা অনেকে মিলে ভাগাভাগি করে তাদের খাওয়াই। একটা বাড়ির বারান্দায় প্রতিদিন পাখিদের জন্য খাবার দেওয়া হয়। যার যখন খিদে পায় এসে খেয়ে যায়। তাদের পানের জন্য মাটির পাত্রে জল থাকে। এই সব পশুপাখিকে কখনো বেহায়া হতে দেখিনি! কাউকে কামড়াতে-আঁচড়াতে দেখিনি। ভালোবাসা, মায়া বা দাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, সেই শিক্ষাও কেউ তাদের দেয়নি। সহাবস্থানই যেন তাদের স্বাভাবিকতা। ভাবতে থাকি, পশুরা কি কখনো কাউকে ধর্ষণ করে? ধর্ষণের পর নৃশংস অত্যাচারে মেতে ওঠে? অযথা ও অকারণে আঁচড়ে-কামড়ে কাউকে ক্ষতবিক্ষত করে? পশুসুলভ আচরণ তবে কেন সহিংসতাজনিত একটা গা-ঘিনঘিনে ব্যাপার হিসেবে চিত্রায়িত হবে? ভাবতেই থাকি, কোন আচরণটা প্রকৃত 'পশুসুলভ' আর কোনটাই বা 'মানবিক'! ভাবছি আর চোখের সামনে ভেসে উঠছে পরপর দুটো দৃশ্য। একটা সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার। সেখানে মিনিয়াপোলিস শহরে প্রকাশ্য রাজপথে ডেরেক শবিন নামে ৪৪ বছরের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ ৪৬ বছরের জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গের ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছেন। জর্জের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। মাথাটা একদিকে কাত হয়ে রয়েছে। যন্ত্রণায় জর্জ কাতরাচ্ছেন আর বলছেন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। প্লিজ, প্লিজ অফিসার, ওরা আমায় মেরে ফেলবে। বাঁচার সেই আকুল আর্তিতেও ডেরেক শবিন অচঞ্চল। বাঁ হাত পকেটে ঢুকিয়ে নির্বিকার বসে রইলেন! মাত্র নটা মিনিট! হাঁটুর চাপে নয় মিনিটেই দম বন্ধ হয়ে নিথর হয়ে গেল জর্জের শরীর। কী ছিল কালো মানুষটির অপরাধ? কুড়ি ডলারের একটা জাল নোট চালানোর চেষ্টা!দ্বিতীয় ছবিটা দক্ষিণ ভারতের সেই রাজ্যে যেখানকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রসার সবচেয়ে বেশি। সাক্ষরের হার সবার ওপরে। মারণরোগ করোনার মোকাবিলায় যে রাজ্যকে মডেল বা আদর্শ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেই রাজ্য, যার নাম কেরালা, সেখানকার শহর মল্লপুরমের কিছু মানুষ বিস্ফোরকভর্তি আনারস খাইয়ে মেরে ফেলেছে জঙ্গলছুট অন্তঃসত্ত্বা এক হস্তিনীকে। জঙ্গল ছেড়ে পশুটা লোকালয়ে চলে এসেছিল। সম্ভবত একটু খাবার পাওয়ার আশায়। কোনো অর্বাচীন বিস্ফোরক ঠাসা আনারস খাইয়ে শিক্ষা দিল তাকে। নামহীন হস্তিনীটি 'অমানুষ' হতে পারেনি। বিস্ফোরকে জর্জরিত ও যন্ত্রণায় কাতর হস্তিনী কারও অনিষ্ঠ না করে নদীগর্ভে নিমজ্জ থেকে নিজেকে নিঃশেষ করে দেয়! সেই থেকে শুরু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মনুষ্যকুলের বিলাপ। কেউ লিখলেন, 'হাতিটা মানুষকে বিশ্বাস করেছিল। সেটাই ছিল তার মস্ত ভুল।' কেউবা, 'হাতিটা মরে গেল। গল্প এটুকুই। বাকিটা লজ্জার।' কেউ প্রবল অভিশাপে গর্জে উঠে বলল, 'মানুষকে এর ফল ভুগতে হবে। প্রকৃতি ঠিক এই পাপের শোধ তুলবে।' কারও কণ্ঠের রায় শীতল ও নির্বিকার, 'করোনাই এই সব মানুষের উচিত শাস্তি।' আমি শৈশবে ফিরে যাই। কী খেয়াল যে হয়েছিল কে জানে, কালীপুজোর রাতে গ্রামের বাড়িতে কুকুরের লেজে ফুলঝুরি বেঁধে বিপত্তি ঘটিয়েছিলাম। আতঙ্কগ্রস্ত কুকুরটা প্রাণভয়ে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করতে করতে খড়ের গাদায় ঝাঁপ দিয়েছিল। আগুন মারাত্মক হয়ে ওঠার আগেই গ্রামের বড়রা সামাল দিয়েছিলেন। সেই অমাবস্যার রাতে আমিও পেয়েছিলাম জীবনের এক বড় শিক্ষা। কিন্তু স্মৃতিচারণা নয়। অভিধান খুলে ভেবে চলেছি, 'পাশবিক আচরণ' আদতে ঠিক কি? পশুজগতের কোন আচরণটা বাস্তবিকই 'পাশবিকতার' সংজ্ঞায় মোড়া? জঙ্গলের নিয়মের বাইরে পশুরা আর কি কিছু করে, যা চোখ টাটায়? পশুরা কি ধর্ষণ করে? ধর্ষণের পর বিকৃত কাম লালসার চিহ্ন রাখে? খিদে না পেলেও কি তারা সহজলভ্য প্রাণী হত্যা করে? অকারণে এলাকা দখলের তাড়নায় ভোগে? কেউ কি কোনো দিন শুনেছে পশুরা শিশুখাদ্যে ভেজাল দেয়? ব্যাংক লুট করে? বিষ খাইয়ে মারে? মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জেতে? দেশের সম্পত্তি বিদেশে পাচার করে? গায়ের জোরে অন্য কারও সম্পত্তি হাতায়? নিজেদের মধ্যে সাদা-কালোর বিভাজন করে? পশুজগতে কি ধর্মীয় বিভাজন থাকে? কাউকে বিধর্মী তকমা দিয়ে পিটিয়ে মারে? জাতিভেদ আছে? কিংবা বর্ণভেদ? আধিপত্যবাদ কায়েম করতে তারা কি যুদ্ধে মেতে অন্য অনেক পশু মেরে ফেলে? কী আশ্চর্য, একটাও মেলাতে পারছি না! অথচ মনুষ্যকৃত 'অমানবিক' কাজগুলোকে আমরা অবলীলায় 'পাশবিক' দেগে দিই! দ্বিধাহীনভাবে! কেন দিই? কোন যুক্তিতে? প্রকৃতি ও প্রাণিকুলের সর্বনাশ ঘটিয়ে সভ্যতার তকমাধারী 'মানবিক' মানুষ যখন 'পাশবিকতার'মোড়কে চিহ্নিত হয়, মাথাটা তখন ভোঁ ভোঁ করে ওঠে। প্রাণিজগতের স্বর আমরা বুঝি না। বুঝতে চাইও না। তাই বুঝতে পারি না, তারাও প্রতিবাদী হয়। মানুষের তৈরি 'পাশবিক' বিশেষণ তাদের আহত করে। তারা জানে, মানুষের মতো 'অমানবিক' হওয়া তাদের ধর্মে নেই। অথচ তবু 'পাশবিক' শব্দটা বিশেষণ হয়ে অভিধানে জ্বলজ্বল করে! মনে হয়, চিৎকার করে বলি, ঢের হয়েছে, 'পাশবিক'-এর সংজ্ঞাটা এবার বদলাক। সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি আরও পড়ুন: জিয়ানার ছোট্ট আঙুল ধরে আর হাঁটা হবে না জর্জের মানুষের অমানবিকতা ও একটি হাতি ঝড়ে অসহায় পাখিগুলো রান্না করে খেল গ্রামবাসী | মতামত,আন্তর্জাতিক | ভারতের কেরালায় আনারসের সঙ্গে পটকা বেঁধে অন্তঃসত্ত্বা হাতিটিকে খাওয়ানো হয়। পেটের ভেতর একের পর এক পটকা বিস্ফোরণের একপর্যায়ে পানিতে নামে হাতিটি। পরে মারা যায়। ছবি: রয়টার্স | opinion |
https://www.prothomalo.com/chakri/employment/আইডিএলসিতে-চাকরি-কর্মস্থল-চট্টগ্রাম | আইডিএলসিতে চাকরি, কর্মস্থল চট্টগ্রাম | আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি লোকাল করপোরেট বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পদের নাম: সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারপদসংখ্যা: ১যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স, অর্থনীতি, অ্যাকাউন্টিং বা ব্যাংকিং বিষয়ে এমবিএ বা বিবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। সিজিপিএ ৪-এর স্কেলে অন্তত ৩.০০ থাকতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিতে অন্তত দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সমস্যা সমাধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা থাকতে হবে। চাকরির ধরন: ফুল টাইমকর্মস্থল: চট্টগ্রামবেতন: আলোচনা সাপেক্ষে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংকে লগইন করে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার আগে এই লিংক থেকে নিয়োগ ও আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৭ জানুয়ারি ২০২২। | নিয়োগ,চাকরিবাকরি,ক্যারিয়ার,চাকরির খবর,আর্থিক প্রতিষ্ঠান,চাকরির পরামর্শ | আইডিএলসিতে চাকরি, কর্মস্থল চট্টগ্রাম | education-career |
https://samakal.com/capital/article/1702272192/খালেদা-বার্নিকাট-বৈঠকে-রাজনৈতিক-পরিস্থিতি-নিয়ে-আলোচনা | খালেদা-বার্নিকাট বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা |
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট।
বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নতুন নির্বাচন কমিশন, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইত্যাদি উঠে এসেছে।
এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি কী ধরনের পরিবেশ চায় এবং নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকার না হলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি-না, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বার্নিকাট। তাদের বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ৪৯ মিনিটে। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের শেষ পর্যায়ে কিছু সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বার্নিকাটের একান্ত বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর বার্নিকাট সাংবাদিকদের কাছে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করা এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুধাবন করা একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দায়িত্ব। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। বৈঠকে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
এদিকে রাষ্ট্রদূত তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছি। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গেও আমি এই আলোচনা অব্যাহত রাখব।
বৈঠকের পর বিএনপির পক্ষ থেকে মিডিয়ার সঙ্গে কোনো নেতা কথা বলেননি।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য রিয়াজ রহমান। রাষ্ট্রতূতের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল সেশন চিফ আন্দ্রে রদ্রিগেজ ও পলিটিক্যাল অফিসার ড্যান রেকব।
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে এটি প্রথম বৈঠক। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি বার্নিকাট বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
| খালেদা জিয়া,ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট | বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/10/10/700043 | 'সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কোনো স্থান নেই' | সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি বলেছেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব ধর্মের মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা গড়েছি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এখানে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কোনো স্থান নেই। রবিবার শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে খানসামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আহমেদ শাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, খানসামা থানার ওসি কামাল হোসেন, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক জীতেন্দ্র নাথ রায়, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীমান দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত কুমার, দিনাজপুর মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. মশিউর রহমান প্রমুখ। বিডি প্রতিদিন/এমআই | সাম্প্রদায়িক, অপশক্তি, স্থান, মাহমুদ আলী | আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভা। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/117758/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE | বর্ধিত সভায় বিব্রত যুবলীগের নেতারা | যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কিংবা পদপ্রত্যাশী তাঁরা। তবে যুবলীগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট, প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির জন্মতারিখ, এমনকি বর্তমান চেয়ারম্যানের নামও বলতে পারেননি অনেক নেতা। গতকাল শনিবার রহমতপুরের কামিনীকুঞ্জ পেট্রল পাম্প এলাকায় বরিশাল মহানগর ও জেলা যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে।এ সময় অনেকে আবার নিজের ইউনিট কমিটির সম্পাদকীয় পদের নাম বলতে পারেননি। বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলমের এমন সব সাংগঠনিক প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন ৯০ ভাগ স্থানীয় যুবলীগ নেতা। বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেককেই।জেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, 'সাংগঠনিক চর্চা ও লেখাপড়া না করায় কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি স্থানীয় নেতারা।' দলছুট ও অরাজনৈতিক কর্মীদের সংগঠনে পদবি দেওয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি।পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এবং মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে ঘিরে বরিশাল যুবলীগ দুই ভাগে বিভক্ত। গ্রুপের শক্তি প্রদর্শনে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীদের উপস্থিত করায় বর্ধিত সভা পরিণত হয় জনসভাতে।সভার প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। | বরিশাল জেলা,বরিশাল বিভাগ,যুবলীগ,বরিশাল সদর,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,আজকের বরিশাল | বরিশালে গতকাল যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা। | national |
https://bangla.dhakatribune.com/entertainment/2022/05/24/1653397800214 | করণ জোহর আমার গান চুরি করেছেন, অভিযোগ পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পীর | কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে করণ জোহর পরিচালিত "যুগ যুগ জিয়ো" সিনেমার ট্রেইলার। তবে ট্রেইলার প্রকাশের পরই বিতর্কের মুখে পড়তে হলো করণকে। এ পরিচালকের বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী আবরার উল হক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, "যুগ যুগ জিয়ো" ছবির প্রকাশিত ট্রেইলারে ব্যবহৃত গানটি "নাচ পাঞ্জাবন" গান থেকে নেওয়া বলে বলে দাবি করেছেন এ পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী ও রাজনীতিবিদ। শুধু তাই না, বলিউডের পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এছাড়া, এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো তার গান চুরি হয়েছে বলেও জানান আবরার। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আবরার উল হক বলেন, কোনো ভারতীয় ছবিকে আমি আমার নাচ পাঞ্জাবন গানটি বিক্রি করিনি। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য আদালতে যাওয়ার অধিকার আমার রয়েছে। করণ জোহরের মতো পরিচালকের গান চুরি করা উচিত নয়। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো আমার গান চুরি করা হলো, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।" তবে তার চুরি হওয়া সবগুলো গানই করণ জোহরের পরিচালিত বা তার প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশনসের ব্যানারে মুক্তি পাওয়া সিনেমায় ব্যবহৃত হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু খোলাসা করেননি আবরার। এদিকে, আবরারের আনা অভিযোগ অস্বীকার করে ছবিটির সঙ্গীত প্রযোজনাক টি সিরিজ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, "আমরা ধর্মা প্রোডাকশনের ছবির জন্য নাচ পাঞ্জাবন গানটি আইনতভাবেই নিয়েছি। নাচ পাঞ্জাবন অ্যালবামের গানটি ২০০২ সালে আইটিউন্স থেকে প্রকাশিত হয়। মুভিবক্স রেকর্ডস লেভেলের ইউটিউব চ্যানেলে ললিউড ক্ল্যাসিকেও গানটি আছে। গানটি মুক্তির পরই সব প্ল্যাটফর্মে ক্রেডিটস দিয়ে দেওয়া হবে।" ধর্মা প্রডাকশন্সের ও ভিয়াকম ১৮ স্টুডিওসের যৌথ প্রযোজনা এবং রাজ মেহতা পরিচালিত "যুগ যুগ জিয়ো" ছবিতে অভিনয় করেছেন বরুন ধাওয়ান, অনিল কাপুর, কিয়ারা আদভানি, নীতু সিং প্রমুখ। আগামী ২৪ জুন সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। | বলিউড,চলচ্চিত্র,সঙ্গীত | বলিউডের পরিচালক ও প্রযোজক করণ জোহর ইনস্টাগ্রাম | entertainment |
https://samakal.com/bangladesh/article/200524895/ও-সমমানের-ফল-প্রধানমন্ত্রীর-কাছে-হস্তান্তর | এসএসসি ও সমমানের ফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর | এসএসসি ও সমমানের ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই ফল হস্তান্তর করা হয়। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন ছাত্রী। এবার ২৮ হাজার ৮৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। সেই হিসেবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই ফল প্রকাশের কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তারপরও বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকযোগে ওএমআর শিট এনে মে মাসেই ফল প্রকাশ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শিক্ষার্থীদের এবার স্কুলে গিয়ে ফল জানার সুযোগ নেই। মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রাক নিবন্ধন করেছে সারাদেশের ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৭২৬ জন শিক্ষার্থী। তারা বেলা ১২টার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষাবোর্ডের সার্ভার থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। আর বাকি পরীক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক নিজেদের মুঠোফোন থেকে এসএমএস এবং নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল জানতে পারবেন। | প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,এসএসসির ফল | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | national |
https://www.prothomalo.com/chakri/employment/ইজিসিবিতে-চাকরির-সুযোগ-বেতন-৫২০০০ | ইজিসিবিতে চাকরির সুযোগ, বেতন ৫২,০০০ | ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পদের নাম: সহকারী ব্যবস্থাপক (লিগ্যাল)পদসংখ্যা: ১যোগ্যতা: এলএলএম ডিগ্রি।বেতন : মূল বেতন ৫২,০০০ টাকা। এ ছাড়া বাড়িভাড়া ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। চাকরির ধরন: প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের জন্য চুক্তি। দক্ষতা সন্তোষজনক হলে চাকরির চুক্তি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নবায়ন করা হবে। বয়স: সাধারণ প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীর ক্ষেত্রে/ বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট অথবা ইজিসিবির ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। টেলিটক প্রিপেইড নম্বরের মাধ্যমে আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা ফি বাবদ ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে। আগামী ১৮ মে ২০২২। | চাকরিবাকরি,ক্যারিয়ার,সরকারি চাকরি,চাকরির পরামর্শ | ইজিসিবিতে চাকরির সুযোগ, বেতন ৫২,০০০ | education-career |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/25/%e0%a6%87-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a3%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be/ | ই-কমার্সের প্রতারণা: স্বার্থরক্ষায় ৩৩ ভুক্তভোগীর রিট | ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের ৩৩ জন ভুক্তভোগী গ্রাহকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির রিট আবেদনটি দায়ের করেন। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আইনজীবী শিশির মনির এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামীকাল রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। রিট আবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান, সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ই-অরেঞ্জ শপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মোট ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী জানান, রিটে আবেদনকারী ৩৩ জন ভুক্তভোগী গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা মূল্যের ভাউচার এবং বিভিন্ন দ্রব্যের ক্রয়াদেশ সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নির্দিষ্ট সময়ের পরেও তাদের ক্রয়কৃত পণ্য বা তাদের টাকা বুঝে পাননি। আবেদনে বাংলাদেশ ই-কমার্সের সূচনা ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদনও আবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশে বিদ্যমান ১০০০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকাও যুক্ত করা হয়। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯, প্রতিযোগিতা আইন-২০১২, জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৪২ এর আলোকে এবং বিভিন্ন মামলার নজির উল্লেখ করে ই-কমার্স কেলেঙ্কারি নজরদারি ও প্রতিরোধে এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়েছে রিটে। রিট আবেদনে আদালতের কাছে ই-কমার্স কেলেঙ্কারি নজরদারি ও প্রতিরোধে এবং ভুক্তভোগী গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা অবৈধ ঘোষণা; ভুক্তভোগী গ্রাহকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ; গ্রাহক ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু পরিচালনার নিমিত্তে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন। ই-অরেঞ্জসহ অন্যান্য অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসিভার নিয়োগ, অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বশীল ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান। অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক মানি লন্ডারিইং হয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে বলা হয়েছে রিটে। | null | হাইকোর্ট। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/12/03/%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a7%81-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0/ | পিরামিডের সামনে হাটু বের করে ছবি তোলায় মডেল গ্রেপ্তার | মিশরের বিশ্ব ঐতিহ্য পিরামিডের সামনে আপত্তিকর ফটোশুট করার অভিযোগে দেশটির মডেল সালমা আল -শিমিকে ফটোগ্রাফারসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ফেরাও যুগের ফ্যাশন অনুকরণে শিমি এমন পোশাক পরেছিলেন যাতে তার হাঁটু দেখা যাচ্ছিল সেইসঙ্গে দেহভঙ্গিতে ফুটে উঠেছিল আপত্তিকর আবেদন। এর মাধ্যমে দেশটির ঐতিহ্যকে অসম্মান করা হয়েছে। ঘটনার দিন দক্ষিণ কায়রোর সাক্বারার নেক্রোপলিসে ৪ হাজার ৭০০ বছরের পুরোনো এক পিরামিডের সামনে একটি ফটোশুট হয়। তার ছবি তোলেন হুসসাম মোহাম্মদ নামে এক ফটোগ্রাফার।ছবিগুলো শিমি তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলে ভাইরাল হয়ে যায়। যা দেখে নেটিজেনদের একাংশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পরই মডেল ও ফটোগ্রাফারকে গ্রেফতার করে মিসরের টুরিজম পুলিশ। তবে ৫০০ মিসরি মুদ্রা জরিমানা পরিশোধ করে মুক্তি পান দু'জন। সূত্র : দ্য সান। | গ্রেপ্তার,পিরামিড,মডেল,মিশর | মিশরীয় মডেল সালমা আল-শিমি | entertainment |
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/01/13/1642086843214 | আসনসংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত | করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। বিধিনিষেধ অনুযায়ী অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু পরিবহন মালিকরা বলছেন, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে ''যত সিট তত যাত্রী'' নিয়ে বাস চালাবেন তারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে বলে জানান ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) খন্দকার এনায়েত উল্লাহর পাঠানো চিঠির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ। মালিক সমিতির ভাষ্য, সবকিছু খোলা রেখে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালালে গণপরিবহনে সংকট তৈরি হবে। যাত্রীরা বাস পাবে না। খন্দকার এনায়েত বলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মৌখিকভাবে ''যত সিট তত যাত্রী'' নিয়ে বাস চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিদ্ধান্তটি সমিতির সদস্যদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। গাড়ির চালক, সহকারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। বাসের স্টাফদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা নেওয়ার সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কোনোভাবেই গাড়িতে দাঁড়ানো যাত্রী বহন করা যাবে না। যদিও এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো নির্দেশনা জারি করেনি। এর আগে বুধবার বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা সব আসনে যাত্রী পরিবহনের দাবি তোলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া না বাড়িয়ে শনিবার থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে গত ১০ জানুয়ারি সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে। বিধিনিষেধের ছয় নম্বর দফায় বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। সব যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা সনদধারী হতে হবে। এতে আরও বলা হয়, জনসাধারণকে অবশ্যই বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হবে। | গণপরিবহন,করোনাভাইরাস | হোসেন অপু | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/16/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a7%88%e0%a6%a7-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%9c%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%be/ | অবৈধ সম্পদ অর্জনে জি কে শামীমের চার্জশিট গ্রহণ | অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জি কে বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী যুবলীগের কথিত সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) চার্জশিট গ্রহণ শুনানিকালে শামীমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।এরপর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত মামলাটির চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। একই সাথে শামীমের মা পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী ১৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা ও দন্ডবিধি ১০৯ ধারা এবং মানিল্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। | চার্জশিট,জি কে শামীম,দুদক | এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/12348/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%96%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95 | স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সখীপুরে বিষের বোতল হাতে এক নারীর অনশন | টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অনশন করছেন সুলতানা খাতুন (২৪) নামের এক নারী। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে। গত ৩১ জুলাই শনিবার থেকে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ফালু চাঁনের মাজারপাড় এলাকায় আবদুর রহিমের বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার আদায়ের দাবিতে তিনি অনশন করছেন।মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গতরাতে ওই নারীকে বুঝিয়ে সুজিয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের বাড়িতে রাখা হয়েছে। তবে সকালে পুনরায় আবদুর রহিমের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার কথা।এর আগে অনশনরত সুলতানা খাতুন নামের ওই নারী বিয়ের কাবিননামা ও বিষের বোতল হাতে নিয়ে হুমকি দেন, স্ত্রীর অধিকার না পেলে তিনি ওই বাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করবেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দল বেঁধে লোকজন ওই নারীকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান।ওই নারীর বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ফাইলা পাগলার মাজার এলাকার মৃত মোজাফর আলীর ছেলে আবদুর রহিম ও ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে সুলতানা খাতুন গাজীপুর চৌরাস্তায় একটি এনজিওতে চাকরি করতেন। এ সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে উভয়ের সম্মতিতে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁরা বিয়ে করেন। গাজীপুর চৌরাস্তার ভাওয়াল কলেজ সংলগ্ন একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকতেন।কিছুদিন আগে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আবদুর রহিম বাসা থেকে চলে আসেন। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বর পরিবর্তন করে গ্রামের বাড়ি দাড়িয়াপুরে অবস্থান করছিলেন। ওই নারী আবদুর রহিমের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান।৩১ জুলাই শনিবার স্ত্রীর অধিকার আদায়ের দাবিতে কাবিননামা এবং বিষের বোতল হাতে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নেন। তাঁর আসার খবর শুনে আবদুর রহিম ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়েন।এ ব্যাপারে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ বলেন, বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে আগামী ৪ আগস্ট অভিযুক্ত আবদুর রহিমসহ উভয় পক্ষের লোকজনকে ডাকা হয়েছে। আশা করি বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যাবে।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুর রহিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়, তিনি দাবি করেন-বিয়েতে আমার সম্মতি ছিল না, ওই নারীকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। | টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,সখীপুর,অনশন,বিয়ে | বিষের বোতল নিয়ে অনশন করছেন সুলতানা খাতুন। | national |
https://www.prothomalo.com/business/industry/রপ্তানিমুখী-শিল্পের-প্রযুক্তি-উন্নয়নে-৫-সুদে-ঋণ | রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রযুক্তি উন্নয়নে ৫% সুদে ঋণ | রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন উদ্যোক্তারা। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হবে না, এমন প্রযুক্তি উন্নয়নে এই ঋণ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৩ শতাংশ (ব্যাংক হারের চেয়ে ১ শতাংশ কম) সুদে তহবিল থেকে ঋণ পাবে। আর তারা গ্রাহককে পাঁচ বছর মেয়াদি সেই ঋণ দিতে পারবে সর্বোচ্চ বাড়তি ২ শতাংশ সুদ যোগ করে। ৫ থেকে ৮ বছর মেয়াদি ঋণে সুদের ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ এবং ৮ থেকে ১০ বছর মেয়াদি ঋণে এ হার হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার ৫-৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত জানায়। এই তহবিলের ঋণ নিতে প্রথমে আগ্রহী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি, তারা তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের জন্য তহবিলটি গঠন করেছে, যাতে উৎপাদন বেড়ে শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও তা টেকসই হয়। এই তহবিল হবে পুনঃঅর্থায়ন ও আবর্তনশীল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রপ্তানি নীতির আওতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া ও বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতের পাশাপাশি আরও ১১টি খাতে এই ঋণ বিতরণ করা যাবে। খাতগুলো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিল্পের মুখ্য উৎপাদন, জ্বালানি দক্ষ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি; বিজনেস প্রসেসিং রি-ইঞ্জিনিয়ারিং/বিজনেস প্রসেস অটো-সংক্রান্ত; অপারেশন ম্যানেজমেন্ট; বর্জ্য ব্যবস্থাপনা; বায়ু ব্যবস্থাপনা; তাপ ব্যবস্থাপনা; কর্মপরিবেশ (অগ্নিব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা) ব্যবস্থাপনা; পানি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা; মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত আধুনিক প্রযুক্তি; হিসাবায়ন ও ইনভেনটরি ব্যবস্থাপনা; বিপণন, বিক্রয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার অটোমেশন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাত প্রথম আলোকে বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে শিল্পের উৎপাদন বাড়াতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন প্রকল্পে এ তহবিল থেকে কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না। | ঋণ,বাংলাদেশ ব্যাংক,রপ্তানি | রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রযুক্তি উন্নয়নে ৫% সুদে ঋণ | economy |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/02/28/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%86%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a6-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%95/ | কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের রিমান্ড নামঞ্জুর | ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে আসামির তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের পক্ষে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটির অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক ১০ মার্চ দিন ধার্য করেন। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আপত্তি করে পুনরায় মামলাটি তদন্তের আবেদন করে। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসসামছ জগলুল হোসেন আবেদন মঞ্জুর করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তিন জনকে অভিযুক্ত এবং আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদ। অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার। গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা 'আই অ্যাম বাংলাদেশি' নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। | null | কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/05/31/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%bf-%e0%a6%95/ | বিএনপিতে উপদেষ্টা বেশি, কর্মীর সংখ্যা কম: গয়েশ্বর | বিএনপিতে উপদেষ্টার সংখ্যা বেশি, তবে কর্মী সংখ্যা অনেক কম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শুক্রবার (৩১ মে) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 'খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা আন্দোলন-সংগ্রাম ঘোষণা করছেন না'- এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আজকে এখানে অনেকের উপদেশমূলক বক্তব্য শুনলাম, ভালো লাগলো। কিন্তু যারা উপদেশ দেন, তারা নিজের বেলায় তা কতটুকু বাস্তবায়ন করেন সেটাও ভেবে দেখা উচিৎ। ইসলামে একটা কথা আছে, যিনি নিজে আমল করেন না, তার অন্যকে হেদায়াতের কথা বলা উচিৎ নয়। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা একটি রুমের মধ্যে আজকের আলোচনা সভা আয়োজন করলেন। এই আলোচনা সভা বদ্ধ কক্ষের মধ্যে না করে রাস্তায় করতেন, আমাকেও ডাকতেন, খুশি হতাম। কক্ষের ভেতরে স্ববিরোধী কথা বলে হাততালি পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সমন্ধে আমাদের কিছু বলার অধিকার নেই। জিয়াউর রহমানকে ভালোমতো চিনলে আমাদের অপরিচিত মনে হবে। ভোগবাদীতা যখন বেশি হয়, তখন ভোগান্তিও বেশি হয়। আর এই ভোগবাদীতা যখন রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেখা যায়, তখন এর মূল্য জনগণকে দিতে হয়। বিএনপিতে যে খারাপ লোক নেই তা নয়। কিন্তু খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িতদের আমরা কেনো দূর করতে পারিনা। তিনি আরও বলেন, বর্তমান দুরাবস্থা শুধু বিএনপিরই দুরাবস্থা নয়, দেশ ও জনগণেরও দুরাবস্থা। এই দুরাবস্থার বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠবে। জনগণের সেই জেগে ওঠায় বিএনপি থাকতে পারবে কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়। জনগণ যদি বুঝতে পারে বিএনপি তাদের সঙ্গে আছে, তাহলে জনগণও বিএনপির সঙ্গে থাকবে। তা নাহলে থাকবে না। তাই আমাদের মানসিক ও আদর্শিক প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া শুধু বক্তৃতায় রক্ত দিয়ে লাভ হবে না। আগে রেড ক্রিসেন্টে গিয়ে রক্ত দেওয়ার চর্চা করেন। তারপর রাজপথে রক্ত দিয়েন। তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল কবির খোকন ও প্রধান বক্তা হিসেবে বিএনপির তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন ইসলাম খান বক্তব্য দেন। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন- তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন রহমান, কাজী মনির ও সাইফুল ইসলাম মনি প্রমুখ। | null | আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। | national |
https://bangla.dhakatribune.com/international/2022/01/28/1643361949214 | সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানে ১০ সেনা নিহত | পাকিস্তানের দক্ষিণে বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি চেকপোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, মঙ্গলবার থেকে বুধবার (২৫, ২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত রাতভর দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানের কেচ জেলায় এক চেকপোস্টে এলোপাতাড়ি গুলি ও বোমা হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এতে ১০ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়। তাছাড়া, সেনা সদস্যদের হাতে এক আততায়ী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনার পর হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে চালানো এক তল্লাশী অভিযানে তিনজন বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। গত সপ্তাহে লাহোরে সংগঠনটির আরেকটি বোমা হামলায় তিনজন নিহত হয়েছিল। এছাড়া, সংঘর্ষে তাদের নিজেদের একজন জঙ্গির মৃত্যুর কথা এবং নিহত সেনা সদস্যের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলেও জানায় তারা। সন্ত্রাসী হামলায় সেনা সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ইরানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের বৃহত্তম কিন্তু কম জনবহুল বেলুচিস্তান প্রদেশে বিদ্রোহীরা বছরের পর বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে। গত বছরের এপ্রিলে বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণকারী এক বিলাসবহুল হোটেলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৪ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়। তবে রাষ্ট্রদূত এ হামলায় হতাহত হননি। | null | পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের একটি চেকপোস্টে সস্ত্রাসী হামলায় নিহত সেনা সদস্যদের নামাজে জানাজা এএফপি | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/02/02/%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b9%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ad/ | ট্রাম্প বিদায় হওয়ার সম্ভাবনা নেই! | মার্কিন সিনেটে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি, ২০২০) ৫১-৪৯ ভোটে সাক্ষী না ডাকার পক্ষে প্রস্তাব পাস হয়। দুজন রিপাবলিকান সিনেটর ডেমোক্রেটদের পক্ষে ভোট দেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এ দুজন সিনেটর হচ্ছেন- মিট রমনি এবং সুজান কলিন্স। মার্কিন ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। ১৮৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসন এবং ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিন্টনের সময় সাক্ষী ডাকা হয়েছিল। হাউস স্পিকার ডেমোক্রেট ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, 'এটা কভার-আপ'। রিপাবলিকানরা বলেছেন, হাউস ট্রায়ালে বেশ ক'জন সাক্ষী ডাকা হয়েছিল, নতুন সাক্ষীর প্রয়োজন নেই। আজ ও আগামীকাল সিনেটে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক হবে, বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ চ,ড়ান্ত ভোট। প্রেসিডেন্ট 'খালাস' পাবেন তা প্রায় নিশ্চিত। একশ সদস্যের সিনেটে রিপাবলিকানদের ৫৩টি ভোট আছে, ডেমোক্রেটদের ৪৭। একজন প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট, অর্থাৎ ৬৭টি ভোট দরকার। ২০টি ভোট ডেমোক্রেটরা কোথা থেকে পাবেন? সিনেটে খুব সম্ভবত পার্টি লাইনে ভোট হবে। কংগ্রেসেও পার্টি লাইনে ভোট হয়েছিল, মাত্র তিনজন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্টকে ইম্পিচ করতে ভোট দেননি। একজন রিপাবলিকান পক্ষ ত্যাগ করেননি। মার্কিন জনগণ এবারকার ইম্পিচমেন্ট প্রক্রিয়ায় তেমন উৎসাহী নন, কারণ এটি পুরোপুরি পার্টিজান লাইনে চলছে। সংখ্যাধিক্যের জোরে হাউসে ডেমোক্রেটরা পুরোপুরি পার্টিজান ছিলেন, একই কারণে সিনেটে রিপাবলিকানরা পার্টিজান লাইনেই হাঁটছেন বা হাঁটবেন। বুধবার হয়তো ইম্পিচমেন্ট অধ্যায় শেষ হবে, কিন্তু এর জের চলবে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত। মঙ্গলবার ৩ নভেম্বর ২০২০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ট্রাম্প বলছেন, ডেমোক্রেটরা জিতবে না তাই এই নাটক! পেলোসি বলেছেন, আপনার ওই সিল আজীবন থাকবে। এদিকে ডেমোক্রেট আইওয়া ককাস আজ সোমবার । এই ককাস গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে, প্রাইমারি শুরু এবং প্রধান প্রার্থীরা 'লাইম লাইটে' আসতে শুরু করেন। ডেমোক্রেট শিবিরে আপাতত তিন প্রধান প্রার্থী হচ্ছেন- সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এবং বস্টনের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। নিউইয়র্ক সিটির সাবেক মেয়র মাইক ব্লুমবার্গ এবং আরো ক'জন এখনো প্রতিযোগিতায় আছেন। ব্লুমবার্গ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি ট্রামকে হারাতে এক বিলিয়ন ডলার খরচ করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ। ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। পরদিন চ,ড়ান্ত ভোট। মার্কিন অর্থনীতি এখন চাঙ্গা। 'নাফটা' চুক্তি তার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, সদ্য তিনি তা করেছেন। তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তির রূপরেখা দিয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা সেটি গ্রহণ না করলেও তার ভোট কমেনি। ইম্পিচমেন্টের কারণে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। বুধবার 'খালাস' পাওয়ার পর তিনি রণমূর্তি নিয়ে নতুন করে আবিভর্,ত হবেন। শিতাংশু গুহ : কলাম লেখক | null | ট্রাম্প | opinion |
https://www.ajkerpatrika.com/28277/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%A3-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87 | শেখ হাসিনার প্রতি জনগণ সন্তুষ্ট বলেই আন্দোলন হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জনগণ সন্তুষ্ট রয়েছে বলেই কোনো ধরনের আন্দোলন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে 'বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট' আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।আনিসুল হক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আইনের শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকরের মাধ্যমে মানুষের মনে আশা জেগেছে যে প্রত্যকে বিচার পাবে। একটি আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।মন্ত্রী আরও বলেন, জনগণ সন্তুষ্ট বলেই আন্দোলন করছে না। জনগণ যদি শেখ হাসিনার শাসনের প্রতি সন্তুষ্ট না থাকতেন তাহলে আন্দোলন করতেন। বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং দেশের ইমেজ আগের চেয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে সম্মান করে। ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না- বলে যে কথা প্রচলিত আছে, আমরা সেটি ভুল প্রমাণ করেছি। আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনা করছি।আইনমন্ত্রী বলেন, সত্য কখনো চাপা থাকে না। এটা দিনের আলোর মতন সত্য যে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এখন আপনারা জিজ্ঞাসা করতে পারেন, তাহলে যখন এই মামলার তদন্ত হয় তখন তাঁকে আসামি করা হয় নাই কেন? জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে হত্যার শিকার হয়েছিলেন। সেখানে তিনি যখন মৃত, তাঁকে আর আসামি করার সুযোগ নাই।এই হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান কীভাবে জড়িত এবং সেটার সাক্ষ্যপ্রমাণ জনসম্মুখে উপস্থাপন করেই তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক।অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পবিত্র কোরআন এবং গীতা থেকে পাঠ করা হয়। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন এবং অনুষ্ঠান শেষে দোয়া করা হয়। | শেখ হাসিনা,বঙ্গবন্ধু,আইনমন্ত্রী | শোক দিবসের দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। | politics |
https://samakal.com/whole-country/article/2203103863/হয়রানি-না-দেখে-জমি-দেখছেন-সবাই | হয়রানি না দেখে জমি দেখছেন সবাই | রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘুটু গ্রামে বিষপানে আত্মহত্যা করা দুই কৃষক সেচের পানি পেতে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। অথচ ঘটনার তদন্তে এসব দেখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন, তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা বর্তমানে তাদের জমির ধানের কী অবস্থা, সেটিই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন! গত বুধবার কৃষক অভিনাথ মার্ডি (৩৬) ও তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি (২৭) বিষপান করেন। এতে বুধবারই অভিনাথ মারা যান। আর শুক্রবার মারা যান রবি। একই অভিযোগ নিয়ে রবি মারান্ডির ভাই সুশীল মারান্ডিও গত রোববার সকালে যান গোদাগাড়ী থানায়। তিনিও অপারেটর সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করতে চান। তবে সুশীলকে সারাদিন বসিয়ে রেখেও মামলা নেওয়া হয়নি। তাকে থানায় বসিয়ে রেখেই বিকেলে রবির জমি দেখতে নিমঘুটু যান গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম। ওসি বলেন, রবির মৃত্যুতেও স্বজনরা মামলা করতে চান। সে জন্যই জমিটা দেখতে যাই। রবি নিজের দেড় বিঘা এবং বর্গা নিয়ে আরও আড়াই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। নিজের জমির ধানটা একটু খারাপ। তবে বর্গা নেওয়া জমিতে চমৎকার ধান হয়েছে। সুশীলের মামলা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা দিলে তো নেব। তারপর তদন্ত হবে। তদন্তে যা পাওয়া যাবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিটির প্রধান নাজিরুল ইসলাম বলেন, আমরা তো তেমন কোনো সমস্যা দেখছি না। কৃষকদের জমির ধান ভালো আছে। তিনি জানান, গভীর নলকূপে ২০০ বিঘা বোরো ধানের সেচ চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আছে। তবে চাষ হয়েছে ২৬০ বিঘা। এ ছাড়া অপারেটর তো পলাতক। তাকে পেলে অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বোঝা যেত। কমিটির প্রধান জানান, আত্মহত্যাকারী অভিনাথের স্ত্রী কিছু বলতে পারছেন না। আর রবির বাড়ির কাউকে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। মামলা হলেও অপারেটর সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আর দুই কৃষকের মৃত্যু এখনও ভিন্ন খাতে নেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলো। স্থানীয় উন্নয়নকর্মী ক্যাথারিনা হাঁসদা অভিযোগ করেন, পানি দেওয়ার সিরিয়ালের নামে দুই কৃষককে ঘোরানো হচ্ছিল। এসব এখন দেখা হচ্ছে না। জমির ধান কেমন আছে, সেগুলোই দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রামের লোকজনকেও হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। কেউ কথা বলতে পারছে না। | আত্মহত্যা,রাজশাহী,গোদাগাড়ী | কৃষক রবি মারান্ডি | national |
https://samakal.com/politics/article/2205110047/মেধাবী-ইঞ্জিনিয়ার-এখন-মস্তবড়-ছিনতাইকারী | মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার এখন 'মস্তবড়' ছিনতাইকারী | মা-বাবা জমি বেচে ছেলেকে পড়িয়েছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে তিনি চাকরি নিয়েছিলেন দেশের নামকরা টেক্সটাইল কোম্পানিতে। সেই মেধাবী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম পুলিশের চোখে এখন 'মস্তবড়' ছিনতাইকারী। রাজধানীর ছিনতাই চক্রের হোতা। 'ঈগল বাহিনী' নামে তার রয়েছে ছিনতাইয়ের দল। রোজার আগে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় হওয়া বড় দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তে নেমে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুলের অন্ধকার ভুবনের খোঁজ পায়। সম্প্রতি তিন সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডিবি জানতে পারে, ২০১৯ সাল থেকে প্রায় প্রতিদিনই আশরাফুলের দলের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথচারী ও রিকশাযাত্রীদের কাছ থেকে টান দিয়ে ব্যাগ ছিনিয়ে নিচ্ছিল। গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন- লেলিন শেখ, জিল্লুর রহমান খান ও সাইফুল ইসলাম শাওন। তাদের মধ্যে লেলিন আশরাফুলের সঙ্গেই টেক্সটাইল মিলের পিকআপ ভ্যানের চালক ছিলেন। জিল্লুর ও শাওন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক। ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, ছিনতাইয়ের টাকা দিয়ে আশরাফুল তার শ্বশুরকে নিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় জমি ও ফ্ল্যাটের ব্যবসা করতেন। সাইফুল ছিনতাইয়ের টাকা বিনিয়োগ করে রীতিমতো গ্রামের বাড়ি বরিশালে ঠিকাদারিও করতেন। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার থেকে যেভাবে ছিনতাই চক্রের হোতা: ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, আশরাফুল ৩৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। ২০১৯ সালে করোনা শুরুর পর চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন আশরাফুল। এরপর নিজের কর্মস্থলের পিকআপ চালক লেলিনের প্ররোচনায় তিনি এই অপকর্মে নামেন। তারা দামি মোটরসাইকেলে ঘুরে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া বা টাকা উত্তোলন করে ফেরার সময়ে লোকজনকে টার্গেট করতেন। এরপর টান দিয়ে ব্যাগ নিয়ে নিতেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল দাবি করেছেন, চাকরির চেয়ে ছিনতাই করে আয় ভালোই হতো। এতে লোভে পড়ে যান তিনি। শুরুর দিকে ব্যাংককেন্দ্রিক টার্গেট থাকলেও 'নেশা' হয়ে যাওয়ায় ব্যাগ দেখলেই প্রায় প্রতিদিনই টান দিয়ে ছিনিয়ে নিতেন। ডিবি ডিসি মশিউর বলেন, আশরাফুলের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান ও অন্যান্য স্বজন জানতেন, তিনি টেক্সটাইল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার। আড়ালে হয়ে উঠেছিলেন ভয়ংকর ছিনতাইকারী। আশরাফুলের বেশভুষা ভালো হওয়ায় একবার ব্যাগ টান দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আড়ালে চলে যেতে পারলে তাকে আর কেউ সন্দেহ করত না। করোনাকালে চাকরি হারিয়ে ছিনতাইয়ে নামেন বলে আশরাফুল দাবি করলেও ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত বেশি টাকার লোভে মেধাবী আশরাফুল এই অপকর্মে নেমেছিলেন। তদন্ত করে তারা দেখেছেন, আসলে করোনা কোনো বিষয় ছিল না, এতে তার চাকরিতেও প্রভাব পড়েনি। অনেক আগে থেকেই লেলিনের মাধ্যমে ছিনতাই চক্রের সঙ্গে আশরাফুলের যোগাযোগ। লেলিন মূলত টেক্সটাইল কোম্পানির পিকআপ ভ্যান চালানোর ফাঁকে ফাঁকে সাইফুল ও শাওনের সঙ্গে বহু বছর ধরেই ছিনতাই করে আসছিল। ঈগলের মতো ছোঁ দেয় তারা: ডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, আশরাফুলের চক্রের সদস্যরা সবাই দামি মোটরসাইকেল নিয়ে ছিনতাই করে আসছিল। দলের যে সদস্য মোটরসাইকেলের পেছনে বসত, তাকে তাদের ভাষায় 'ঈগল' আর মোটরসাইকেল চালককে 'পাইলট' বলা হতো। পেছনে বসা ব্যক্তি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশা আরোহী বা পথচারীর হাতে থাকা ব্যাগটি ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। আশরাফুল সব সময়েই ঈগলের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ডিবি ডিসি মশিউর রহমান বলেন, এরা মূলত সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে ছিনতাই করত। তবে শুক্র ও শনিবার তারা সাধারণত 'কাজে' যেত না। রোজার আগে মিরপুরের পল্লবীতে আলাদা দুটি ঘটনায় ১১ লাখ টাকা ও চার লাখ টাকা ছিনতাই হয়। ওই দুটি ঘটনার ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তিগত তদন্তে সন্ধান মেলে এদের। এর মধ্যে ১১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে সরাসরি ঈগলের দায়িত্বে ছিল আশরাফুল। চার লাখ টাকা ছিনতাইয়ে ছিল সাইফুল ও শাওন। ডিবির গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের টিম লিডার এডিসি এস.এম রেজাউল হক সমকালকে বলেন, ওই চারজনকে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ঈদের ছুটি থাকায় তারা কারাগারে রয়েছে। শিগগিরই তাদের কারাগার থেকে এনে ছিনতাই বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চারজন দাবি করেছে, তিন বছরে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ছিনতাই করেছে। লেলিন, শাওন ও সাইফুলের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের কয়েকটি মামলাও রয়েছে। | ছিনতাই,রাজধানী,অপরাধ | রাজধানীর সড়কে 'ছিনতাইকারী চক্র'/ ডিবির সৌজন্যে সিসি ক্যামেরার | politics |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/05/19/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a6%b0%e0%a6%9a-%e0%a6%a4%e0%a6%a6%e0%a6%a8/ | অবশেষে 'বালিশের খরচ' তদন্তে কমিটি | পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনের আসবাবপত্র ও বালিশ কেনাসহ অন্যান্য কাজের অস্বাভাবিক খরচ তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে উল্লেখ করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পৃথক এ কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব প্রকার বিল বন্ধ রাখার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, 'রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডেলিগেটেড ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদফতর নির্মাণাধীন ৬টি ভবনে আসবাবপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য দাফতরিক প্রাক্কলন প্রণয়নপূর্বক ৬টি প্যাকেজে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্যাকেজের প্রতিটির ক্রয়মূল্য ৩০ কোটি টাকার নিম্নে প্রাক্কলন করায় অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগ দেয় গণপূর্ত অধিদফতর। এক্ষেত্রে দাফতরিক প্রাক্কলন প্রণয়ন, অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আলোচ্য কাজের বিপরীতে এখনও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিনসিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়েছে। একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে এর দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে ওঠাতে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা। এরই মধ্যে নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, এ প্রকল্পের সব পদেই অস্বাভাবিক বেতন-ভাতা ধরা হয়েছে। বেতন ছাড়াও আরও কয়েকটি খাতে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরে চূড়ান্ত করা হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ। এ প্রকল্পের প্রকল্প-পরিচালকের বেতন ধরা হয়েছে চার লাখ ৯৬ হাজার টাকা। পাশাপাশি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন, এজন্য আরও দুই লাখ টাকা পাবেন। সব মিলিয়ে প্রকল্প পরিচালক পাবেন ছয় লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া গাড়ি চালকের বেতন ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৭০৮ টাকা, রাঁধুনি আর মালির বেতন ৬৩ হাজার ৭০৮ টাকা। | null | রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মিত ভবন সমূহ | national |
https://www.prothomalo.com/business/হোন্ডা-বাজারে-এনেছে-নতুন-সিবি-হর্নেট-১৬০-আর | হোন্ডা বাজারে এনেছে নতুন সিবি হর্নেট ১৬০ আর | বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) বাজারে এনেছে নতুন মডেলের মোটরসাইকেল সিবি হর্নেট ১৬০ আর। নতুন সিবি হরনেট ১৬০ আর সিবিএস এবং এবিএস মডেল দুটি উন্নত কর্মক্ষমতা, দৃষ্টিনন্দন স্টাইল, স্বাচ্ছন্দ্য ও উপযোগিতার সম্পূর্ণ প্যাকেজ। শক্তিশালী পারফরম্যান্স: উন্নত হোন্ডা ইকো টেকনোলজি (এইচইটি) বিএস-আইভি পরিশুদ্ধ ইঞ্জিন, যা ১৫.১ পিএস ৮৫০০ আরপিএম এবং টর্কে ১৪.৫ এনএম ৬৫০০ আরপিএম শক্তি উৎপাদন করে ৫৮ কেএমপিএলের দারুণ মাইলেজ দিতে সক্ষম (বুয়েটের পরীক্ষা অনুযায়ী)। দৃষ্টিনন্দন স্টাইল: নতুন ও আকর্ষণীয় গ্রাফিক নকশা ও নীল ব্যাকলাইটের সঙ্গে আরও আছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল মিটার, নতুন হাই-লো বিম সুইচ, দৃষ্টিনন্দন ফ্রন্ট ভাইজর, অধিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংক, এক্স আকৃতির এলইডি টেল লাইট আর আকর্ষণীয় টপ ব্রিজ। স্বাচ্ছন্দ্য: মনোসাসপেনশন, ২৭৬ মিমি পেটাল ডিস্ক ব্রেকের সঙ্গে আছে কম্বি ব্রেক সিস্টেম (সিবিএস) বা অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস), হ্যাজার্ড লাইট ও উন্নতমানের সুইচ। উপযোগিতা: ও-রিং চেইন, এমএফ ব্যাটারি, ভিসকস এয়ার ফিল্টার। নতুন সিবি হর্নেট ১৬০ আর দেশজুড়ে সব হোন্ডা এক্সক্লুসিভ অথরাইজড ডিলারস শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে। সিবি হরনেট ১৬০ আর সিবিএসের খুচরা মূল্য ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা এবং সিবি হরনেট ১৬০ আর এবিএসের খুচরা মূল্য ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। স্ট্রাইকিং গ্রিন, স্পোর্টস রেড, অ্যাথলেটিক ব্লু মেটালিক ও মার্স অরেঞ্জ-এই ৪টি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া নতুন সিবি হর্নেট ১৬০ আর। গ্রাহকদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় ওয়ারেন্টি পলিসি। ২ বছর অথবা ২০ হাজার কিলোমিটার, যেটা আগে সম্পন্ন হবে, সেই অনুযায়ী পাওয়া যাবে ৪টি বিনা মূল্যের পরিষেবা। নতুন সিবি হর্নেট ১৬০ আর দেশের সমস্ত হোন্ডা এক্সক্লুসিভ অথরাইজড ডিলারস শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে। দেখতে এবং বুক করতে ক্রেতারা কাছাকাছি যেকোনো শোরুম ঘুরে আসতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি | মোটরসাইকেল,বাণিজ্য সংবাদ,অর্থনীতি,অটোমোবাইল,প্রতিষ্ঠানের খবর | চারটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাবে নতুন সিবি হর্নেট ১৬০ আর। ছবি: সংগৃহীত | economy |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/capital/কল্যাণপুর-বস্তিতে-আগুনে-পুড়ল-দুই-শতাধিক-ঘর | কল্যাণপুর বস্তিতে আগুনে পুড়ল দুই শতাধিক ঘর | রাজধানী কল্যাণপুরের বেলতলা এলাকার ৯ নম্বর বস্তির আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বস্তিবাসী। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ছেলেমেয়েকে নিয়ে ওই বস্তিতে থাকেন মোফাজ্জেল হোসেন। আগুনের সময় সবাই কাজে বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে বস্তিতে এসে দেখেন সব পুড়ে ছাই। মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, 'প্রায় দুই কিলোমিটার দৌড়ে এসে দেখি আমার সব আগুনে পুড়ে গেছে। সবাই বাইরে থাকায় কিছুই বের করতে পারিনি।' ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ৮টা ৫০ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথম ইউনিট ৯টার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিতে পারেনি। সাজ্জাদ হোসাইন আরও বলেন, বস্তিতে প্রবেশের রাস্তা সংকীর্ণ। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি। পরে বস্তির অপরদিক ঘুরে একটি পানির গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু সেখানে পানির লাইন ছিল না। প্রথম অবস্থাতেই এক গাড়ি পানি শেষ হয়ে যায়। পরে ওয়াসাকে খবর দিলে, ওয়াসার গাড়ি এলে পানি দেওয়া শুরু হয়। এ কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগুনে কোনো হতাহত নেই, নিখোঁজের অভিযোগও পাওয়া যায়নি। আগুনের কারণ তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের চেষ্টায় আজ রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। | দুর্ঘটনা,আগুন,ঢাকা,অগ্নিকাণ্ড | আগুন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/20/%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%aa%e0%a7%82%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a7%a9-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%85/ | দুর্গা পূজায় ৩ কোটি টাকা অনুদান প্রধানমন্ত্রীর | আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস ভোরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি জানান, আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিন কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষের কাছে অনুদানের চেকটি হস্তান্তর করেন। | null | সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়। পিএমও | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/13/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a6%9f-%e0%a6%86%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%a0%e0%a6%be/ | করোনা সংকট আড়ালের চেষ্টা করছে সরকার | করোনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর সরকারী হিসেবে সঙ্গে কোন মিল নেই দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, করোনা সংকট আড়াল করে নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে চাইছে সরকার। দল মত নির্বিশেষে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করলেই করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া সহজ হবে। এ সময় করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রতি ৭ টি সুপরিশও তুলে ধরেন তিনি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নিজ বাসা থেকে বিএনপির করোনা সেলের অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, সরকারের সীমাহীন ব্যার্থতায় করোনার ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। শুরুতেই লকডাউনের পরিবর্তে সাধারন ছুটি ঘোষণা করায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা সেবায় বৈষম্যের কারনে গরীব মানুষেরা অসহায় হয়ে পড়েছে। তারা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অক্রিজেন, আইসিইউ তাদের কাছে এখন সোনার হরিন। এ সময় বিএনপি ও দলের অঙ্গ-সংগঠনের পক্ষ থেকে ৫১ লক্ষ ৮১ হাজার ৩শ ৬০ পরিবারের মধ্যে ত্রান বিতরন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। করোনা মেকাবেলায় সরকারের প্রতি ৭ সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, এই মূহর্তে করোনা মোকাবেলায় সরকার সবার আগে মনোযোগ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে এলাকা ভিত্তিক কঠোর লকডাউন দিতে হবে যাতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ হয়। ত্রান মোকাবেলায় সেনাবাহিকে দায়িত্ব দিতে হবে। তথ্য গোপন না করে সঠিক তথ্য সরকারী হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে হবে যাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে। পাশাপাশি রিবোধীমতকে প্রাধান্য দিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করোনা মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে মাঠে নামতে হবে। | null | মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। । | national |
https://www.ajkerpatrika.com/184424/%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AF%E0%A7%AD-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%89-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2 | যোধপুরের সহিংসতায় গ্রেপ্তার ৯৭, কারফিউ বহাল | ভারতের রাজস্থানের যোধপুর এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার ঈদের দিন ধর্মীয় পতাকা নিয়ে বিবাদ ও আগের দিন রাতে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করা হয়। এরপর আজ বুধবার ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯৭ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। এ ছাড়া যোধপুরের কয়েকটি এলাকায় এখনো কারফিউ বহাল রয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।যোধপুরের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, যোধপুরের উদয় মন্দির এবং নাগোরি গেটসহ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে ইন্টারনেট সরবরাহ স্থগিত রাখা হয়েছে।যোধপুরে তিন দিনব্যাপী পরশুরাম জয়ন্তী উৎসব চলছে। এর মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদুল ফিতর চলে আসে। সোমবার রাতে উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় পতাকা টানানো নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার সূত্রপাত হয় এবং তা থেকেই পরে লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতার জন্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তিনি এনডিটিভিকে বলেন, 'এটা বিজেপির এজেন্ডা। কারণ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব এত বেড়ে গেছে যে তারা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাই মনোযোগ সরাতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ সহিংসতা বাঁধিয়েছে।' | ভারত,গ্রেপ্তার,সহিংসতা,ঈদ,রাজস্থান,কারফিউ | যোধপুরের সহিংসতার পর ৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতে পুলিশ। এনডিটিভির সৌজন্যে | international |
https://samakal.com/bangladesh/article/200110720/মাধ্যমে-যোগ্য-নাগরিক-গড়ে-তুলতে-চাই-প্রধানমন্ত্রী | খেলাধুলার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে চাই: প্রধানমন্ত্রী | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সবসময় খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেয়, কারণ এর মাধ্যমে আগামীর নাগরিকরা যেন যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই আজকে স্বাধীন দেশে আমরা এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরেছি। খেলাধুলার মধ্যদিয়ে দেশের মানুষ আরো সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক-সেটাই আমরা চাই। খবর বাসসের শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২০'র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেয় এবং আমরা চাই এই খেলাধুলার মধ্যদিয়েই ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে যাক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর সেইলক্ষ্য নিয়েই আমরা প্রাথমিক স্কুল পর্যায় থেকেই মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করেছি। তিনি বলেন, ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এবং দেশের মানুষের কাছেও এটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন দলের ক্যাপ্টেন ও কর্মকর্তাদের হাতে শিরোপা'র ট্রফি এবং ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের প্রাইজমানির চেক তুলে দেন। রানার্স আপ দল বুরুন্ডি ২০ হাজার মার্কিন ডলারের অর্থের চেক লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী উভয় দলের খেলোয়াড়, কর্মকতা এবং ম্যাচ অফিসিয়িালদের হাতে ব্যক্তিগত পুরস্কারও তুলে দেন। | প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা,বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ | বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২০'র চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের হাতে শিরোপা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বাসস | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/01/12/730167 | বাঁশের সাঁকোই ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা | দীর্ঘদিন যাবৎ পারাপারে নেই সেতু, তাই বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা নদী পাড়ের মানুষের। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় এই সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচলকারী এলাকাবাসীর। ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারো মাসিয়া নদীর ওপর রয়েছে নড়বড়ে এই সাঁকো। প্রতিদিন ছয়টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করেন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগীরা। দীর্ঘদিনেও সেতু তৈরি না হওয়ায় কিংবা কোনো সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে নির্বাচন শেষে কোনো খোঁজ রাখেননি। তাছাড়া প্রতিনিয়তই এই সাঁকোতে দুর্ঘটনা ঘটছে। জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারো মাসিয়া নদীর ওপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছেন গ্রামের মানুষ। এই সাঁকো দিয়ে ছয়টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ আলী জানায়, এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। একবার পা পিছলে পড়ে আহত হয়েছি। এখন সাবধানে সাঁকোতে উঠে চলাচল করছি। পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের মীর হোসেন বলেন, একটি সেতুর অভাবে ৪০ বছর ধরে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা এলাকাবাসীরা বেঁচে আছি। সুস্থ মানুষ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছেন। সাঁকো মেরামতকারী শাহাজামাল আলী জানান,৭ বছর ধরে বাঁশের সাঁকোটি প্রতিদিন মেরামত করে আসছি। এলাকার বাঁশ ও ধান সংগ্রহ করে সাঁকোটি চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হয়। নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, বারোমাসিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ অতি প্রয়োজন। অনেক আগে থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আসিক ইকবাল রাজিব বলেন, এই নদীর উপর ৩০ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রসেস করে ইতিমধ্যেই সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বিডি প্রতিদিন/এমআই | বাঁশ, সাঁকো, মানুষ, ভরসা | বাঁশের এই সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/29804/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE | ছোটবেলায় যেমন ছিলেন উত্তম | উত্তমকুমারের নামটা রেখেছিলেন তাঁর দাদামশাই, মানে তাঁর মায়ের বাবা। তিনি এসে মেয়েকে বললেন, 'চপলা শোন, আমি তোর ছেলের নাম রাখলুম উত্তম।' মেট্রো ছবির এক সাধারণ অপারেটর সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায়, উত্তমের বাবা, ছেলের এমন নামে খুব খুশি হলেও মোটেই ভালো লাগেনি তাঁর মা চপলা দেবীর। কিন্তু বাবার মুখের ওপর কথা তিনি কখনো বলতে পারেননি, তাই সেদিনও চুপ থেকে মেনে নিয়েছিলেন 'উত্তম' নামটিই।নানাবাড়ি আহেরীটোলায়, যেখানে উত্তম জন্মেছিলেন, সেখানে প্রতি চার বছর অন্তর এক সাধুপুরুষ আসতেন। গুরুদেব বলতেন তাঁকে সবাই। উত্তমের বয়স তখন মাত্র তিন মাস। তেল মাখিয়ে ছাদে শুইয়ে রাখা হয়েছে। সেই গুরুদেব এলেন। এসেই হাঁক ছাড়লেন, 'কই, তোর ছেলে কই?' দোলনার কাছে এগিয়ে গেলেন। শিশু উত্তম হেসে উঠল। গালভরা হাসি। তা দেখে 'গুরুদেব' বললেন, 'এই হাসিতে তোর ছেলে একদিন সবাইকে ভোলাবে।'শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে তখন উত্তম। মাথায় ঢোকে যাত্রার পোকা। উত্তমকুমার লিখেছেন, 'পাড়ার মধ্যে মাঝে মাঝে যাত্রার আসর বসত। সেই যাত্রাই একদিন ভালো লাগল আমার।' পড়া ফেলে, পালিয়ে, প্রতি সন্ধ্যায় জানালায় উঁকি দিয়ে যাত্রার রিহার্সেল দেখতে না পারলে অস্থির লাগে উত্তমের। একদিন ধরা পড়ে গেলেন দিদির কাছে।ছোটবেলায় উত্তমের সঙ্গী ছিলেন সেই দিদি। নাম পুতুল। খুকিদি বলে ডাকতেন উত্তম। খুকিদি জিজ্ঞেস করলেন, 'রোজ রোজ কোথায় যাস রে?' চেপে গেলেন উত্তম, 'সে একটা ভারী মজার জায়গায় যাই।' দিদিকে অভিনয়ও করে দেখালেন এত দিন লুকিয়ে লুকিয়ে রিহার্সেল দেখে যতটা শিখেছেন। উত্তম লিখেছেন, 'সে যেন আমার যাত্রা-শেখার মধ্যে একটা আনন্দ খুঁজে পেল। চোখ পাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে বলল, তুই যাত্রা করবি, বেশ মজা হবে, না রে?'উত্তমের অভিনয়ের প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিলেন যিনি, সেই খুকিদি, শেষ পর্যন্ত উত্তমের সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। একদিন ঘরে ফিরে শুনলেন, খুকিদির খুব জ্বর। টাইফয়েড। বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠল উত্তমের। কাছে গেলেন। কানের কাছে মুখ নিয়ে ক্ষীণ কণ্ঠে খুকিদি বললেন, 'কাউকে বলিনি তুই যাত্রা শিখছিস। যাত্রা শেখ, বেশ মজা হবে। আমি ভালো হয়ে উঠলে কেমন শিখলি দেখাবি, কেমন?'দেখানো আর হয়নি। যাত্রা, থিয়েটার, সিনেমা, দেশজোড়া খ্যাতি-উত্তমের কিছুই দেখা হয়নি খুকিদির। কয়েক দিন টাইফয়েডে ভুগে দিদি তাঁর পাড়ি জমান ওপারে। খুকিদির এই মৃত্যু কোনো দিন ভুলতে পারেননি উত্তমকুমার। এ ঘটনা উত্তমকুমার লিখেছেন তাঁর স্মৃতিকথা 'আমার আমি'তে। | বিনোদন,সিনেমা,চলচ্চিত্র,উত্তম কুমার | উত্তমকুমার। (১৯২৬-১৯৮০) | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/07/12/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a7%a7-%e0%a7%a6-%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%97/ | বুনুচ্ছির গোলে সমতায় ফিরল ইতালি | স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এর আগে কখনোই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নির্ধারণি ম্যাচে খেলা হয়নি তাদের। সর্বোচ্চ ১৯৬৮ ও ১৯৯৬ সালে দুবার সেইফাইনালে খেলেছিল তারা। ইতালির জন্য অবশ্য এই ফাইনাল নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনবার ফাইনাল খেলেছে তারা, শিরোপা জিতেছে একবার। ২০০০ সালের পর ২০১২ সালেও রানার্স আপ হয়েছিল আজ্জুরিরা। টান্টান উত্তেজনার এ ম্যাচে নিজেদের মাঠে ওয়েম্বলিতে দুই মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যায় ইংলিশরা। কেইরন থ্রিপিয়ারের পাস থেকে উড়ে আসা বলে দুর্দান্ত শট নেন ডিফেন্স থেকে দৌড়ে আসা লুকে শ। তার শট ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডোন্নারুমা বুঝে ওঠার আগেই ইংল্যান্ডের লিড ১-০ গোলে। প্রথমার্ধে অবশ্য ইংল্যান্ড একটিই আক্রমণ করেছে, ইতালি পোস্ট বরাভর তিনটি শট নিলেও সেগুলোর কোনোটিই লক্ষ্যে ছিল না। আন্তর্জাতিক মাঠে লুক শ'র প্রথম গোল: উয়েফা ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২ মিনিটের সময় গোল হজম করেছে ইতালি। ইংল্যান্ডের হয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই গোলটি করেন লুকে শ। ত্রিপারের করা ক্রস লুক শ এর পায়ে এসে পরে। ইতালির রক্ষণভাগ ইংল্যান্ডের অন্য খেলোয়াড়দের যখন কড়া নজরে রাখছিলেন, তখন লুক শ ছিলেন একটু দূরে। ফলে ত্রিপারের ক্রস তার পায়ে আসা মাত্র বল জালে পাঠিয়ে দেন শ। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোল। | ইতালি,ইংল্যান্ড,উইরো ফাইনাল | মাত্র দুই মিনিটেই লুক শর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। | sports |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/‘যুদ্ধক্ষেত্র’-ভেনেজুয়েলা-২-০-তে-পিছিয়ে-ট্রাম্প | 'যুদ্ধক্ষেত্র' ভেনেজুয়েলা: ২-০ তে পিছিয়ে ট্রাম্প ফের পুতিনের সামনে | আবার মুখোমুখি আমেরিকা-রাশিয়া। গত ডিসেম্বরেই সিরিয়া থেকে পিছুহটার ঘোষণা দেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি। এবার 'যুদ্ধক্ষেত্র' ভেনেজুয়েলা। লাতিন আমেরিকার এই দেশটির রাজনৈতিক সংকট ঘিরে এমন অবস্থানে ওয়াশিংটন-মস্কো। সংকটে ভেনেজুয়েলাভেনেজুয়েলার চলমান রাজনৈতিক সংকট শুরু গত বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর। নির্বাচনে জিতে আরও ছয় বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। কিন্তু মাদুরোর বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। নির্বাচনের ফল বর্জনের মাধ্যমে মাদুরোর সরকারকে অবৈধ প্রমাণ করতে চেয়েছেন তাঁরা। একপর্যায়ে বিরোধী নেতারা অভ্যুত্থানচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেন। মাদুরো প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা, খাদ্যসামগ্রীর ঘাটতি, বিপর্যস্ত অর্থনীতি, বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ার বিষয়গুলোকে কাজে লাগিয়ে মাদুরোবিরোধী জনমত জোরালো করেন বিরোধী নেতারা। সব মিলিয়ে দেশটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। মাদুরো গত ১০ জানুয়ারি নতুন মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৩ জানুয়ারি মাদুরোবিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো নিজেকে ভেনেজুয়েলার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা দেন। পরদিন তাঁর এই ঘোষণাকে সমর্থন দেয় আমেরিকা। এ ঘোষণা শুধু ঘোষণার মধ্যেই রাখেনি ওয়াশিংটন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই দেশ ছাড়ার জন্য শীর্ষ পর্যায়ের মার্কিন কূটনীতিকদের নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। সর্বশেষ গত সোমবার কারাকাসে থাকা সব পর্যায়ের মার্কিন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। কে কার পক্ষেবিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলার চলমান সংকটে আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, চিলি, পেরু ও আর্জেন্টিনা মাদুরোবিরোধী নেতা গুয়াইদোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইউপি) নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিপরীতে মাদুরোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে রয়েছে মেক্সিকো, চীন ও তুরস্ক। ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে প্রকাশ্যেই লড়াইয়ে নেমেছে ওয়াশিংটন ও মস্কো। মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়াবার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, গুয়াইদো নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পরদিন ২৪ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই গুয়াইদোর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন। ট্রাম্প বলেন, মাদুরোর বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে ভেনেজুয়েলার জনগণ। গুয়াইদোর ঘোষণার বিরুদ্ধে মাদুরোর যেকোনো পদক্ষেপ ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন। এরপর নড়েচড়ে বসে রাশিয়া। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ২৫ জানুয়ারি রাশিয়া ঘোষণা করে, গুয়াইদোর প্রতি বিভিন্ন দেশের সমর্থন প্রকাশ আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা ভেনেজুয়েলায় 'সরাসরি রক্তপাতের পথ' তৈরি করবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, মাদুরোই ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট। ভেনেজুয়েলার জনগণই দেশটির ভবিষ্যৎ ঠিক করবে, আর কেউ নয়। ভেনেজুয়েলায় বাইরের কারও ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। রাশিয়া মাদুরোর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেই চুপ থাকেনি। ভেনেজুয়েলার টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও ব্যবস্থা নিয়েছে। রয়টার্স বলছে, রাশিয়া থেকে গোপনে সামরিক টিম ঢুকেছে ভেনেজুয়েলায়। তারা মাদুরোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। কেন মুখোমুখিকিন্তু কেন এই বিপরীতমুখী অবস্থান রাশিয়া-আমেরিকার? ভেনেজুয়েলার সঙ্গে রাশিয়ার উষ্ণ সম্পর্ক নতুন নয়। মাদুরোর পূর্বসূরি প্রয়াত হুগো চাভেজ আমেরিকার কট্টর সমালোচক ছিলেন; যা তাঁকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। মস্কোভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের আন্দ্রে কুর্তোনভের ভাষায়, 'এ সম্পর্ক প্রতীকীভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে হলো আমরা একা নই, আরও অনেকে আছেন, যাঁরা আমেরিকা ও পশ্চিমা নীতির সমালোচনা করেন।' আসলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভেনেজুয়েলা-রাশিয়া অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ভেনেজুয়েলায় রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে, রাশিয়ার দেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। শুধু তা-ই নয়, গত ডিসেম্বরে মাদুরোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে রুশ দুটি যুদ্ধবিমান ওড়ানো হয় ভেনেজুয়েলার আকাশে। বিবিসি বলছে, ঋণ ও সহায়তা মিলিয়ে ভেনেজুয়েলাকে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার দিয়েছে রাশিয়া। ভেনেজুয়েলায় রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেলের রিজার্ভ। তেলের অনেকগুলো প্রকল্পে রাশিয়ার অংশীদারত্বও রয়েছে। যদিও এর অনেক কিছুই স্বীকার করতে চায় না মস্কো। অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে, চাভেজের সময় থেকেই ভেনেজুয়েলাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ওয়াশিংটন। মাদুরোবিরোধী চলমান আন্দোলনেও মার্কিন মদদ রয়েছে। গুয়াইদোকে সমর্থন দিয়ে সেটা স্পষ্ট করেছেন ট্রাম্প। সাম্প্রতিক লড়াইআমেরিকার বিপক্ষে পুতিনের রাশিয়ার এমন মুখোমুখি অবস্থান নতুন নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার সঙ্গে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ইতি ঘটে সেই স্নায়ুযুদ্ধের। তৈরি হয় এককেন্দ্রিক বিশ্ব, যার নিয়ন্ত্রণ পায় আমেরিকা। কিন্তু পুতিনের রাশিয়া সেটাই ফিরিয়ে এনেছে। গত প্রায় এক যুগে আমেরিকা ও রাশিয়ার প্রচ্ছন্ন লড়াই দেখা গেছে বেশ কিছু ইস্যুতে। ২০০৭ সালে পোল্যান্ডে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েনের ঘোষণা, ২০০৮ সালে জর্জিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সরকারের পক্ষ নিয়ে দুই দেশের অবস্থান, ২০১৩ সালে আমেরিকার গোপন নথির তথ্য ফাঁসকারী মার্কিন নাগরিক এডওয়ার্ড স্নোডেনকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেওয়ার ইস্যুগুলোতে মস্কো-ওয়াশিংটনের পরোক্ষ লড়াই দেখা গেছে। ইউক্রেনে রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের পতনের পর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে থাকা দ্বীপ ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। সেখানে আমেরিকার সমর্থনপুষ্ট পক্ষ হেরেছে রাশিয়ার কাছে। এরপর ২০১৫ সালে সিরিয়া যুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থান নেয় রাশিয়া- আমেরিকা। পুতিন সরাসরি সমর্থন দেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রতি। অন্যদিকে ওয়াশিংটন সমর্থন দেয় বাশারবিরোধীদের প্রতি। শেষ পর্যন্ত গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়া থেকে দুই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী চলতি মার্চেই সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হওয়ার কথা। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার পুতিনের কাছে ট্রাম্পের পরাজয়েরই নামান্তর। ট্রাম্প অবশ্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই পুতিনের কাছে আরেকবার হেরেছেন। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার ভোটে পুতিন তথা রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। যদিও সেই অভিযোগের এখনো সুরাহা হয়নি। কিন্তু ওই অভিযোগ যে ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছে, সেটা নিশ্চিত। এরপর সিরিয়ায় পুতিনের কাছে হার; স্পষ্টতই ২-০তে পিছিয়ে থেকে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় আবার পুতিনের মুখোমুখি হলেন। কে জিতবেন এই লড়াইয়ে? ফল দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে সবাইকে। মাহফুজার রহমান: সাংবাদিক[] | আন্তর্জাতিক | মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁয়ে) ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি | opinion |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/06/%e0%a6%ad%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%b8%e0%a6%b9-%e0%a6%aa%e0%a7%8d/ | ভোরের কাগজের হিলালীসহ প্রেস ক্লাবের ৩৪ সদস্যের স্মরণ সভা | ভোরের কাগজের হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরীসহ জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রয়াত ৩৪ সদস্যদের স্মৃতিচারণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্র্যয়াত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সঞ্চালনায় স্মরণসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ সংবাদ সস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক এবং প্রয়াতদের পরিবারে সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এক মিনিট নীরবতা পালনের পর ২৪ অক্টোবর ২০২০- ০৬ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের প্রয়াত সদস্য হাসান শাহরিয়ার, জাহিদুজ্জামান ফারুক, এ ইউ এম ফখরুদ্দিন, ফকীর আব্দুর রাজ্জাক, আবুল হাসনাত, এরশাদুল হক, হান্নান খান, হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী, খোন্দকার আতাউল হক, মিজানুর রহমান খান, হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী, সৈয়দ লুৎফুল হক, আহমদ আখতার, শাহীন রেজা নূর, সৈয়দ আবুল মকসুদ, আতিয়ার রহমান আতিক, এ জেড এম আনাস, মো. নুরুল হুদা, মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান মাসুদ, কাইয়ুম খান মিলন, খোন্দকার শাহাদাত হোসেন, মো. রফিকুল আলম, এনামুল হক, সৈয়দ শাহজাহান, খোন্দকার ফজলুর রহমান (ফিউরি), শাহিদুজ্জামান খান, মুহীউদ্দিন আহম্মদ, মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, মো. লুৎফুর রহমান বীনু, বজলুল করিম, মো. আবদুর রহিম, গোলাপ মুনীর ও হামিদুজ্জামান রবির স্মৃতিচারণে আলোচনা হয়। এর আগে তাদের স্মরনে প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানের পক্ষ থেকে বানী পড়ে শোনানো হয়। তাতে বলা হয়, করোনা অতিমারির ছোবলে দেশ, জনপদ এখনো বিধ্বস্ত। এ এক দুঃসহকাল। গত এক বছরে আমরা হারিয়েছি অনেক স্বজন, সুহৃদ-সহযোগীকে। সাংবাদিকতা পেশার উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির ধারাবাহিক যে প্রয়াস, তার অগ্রসৈনিক ছিলেন তাদের অনেকে। আমাদের প্রিয় সেকেন্ড হোম জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সূচনালগ্নে তাদের গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। যারা ইন্তেকাল করেছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের আত্মার চিরশান্তির জন্যে পরম করুণাময়ের দরবারে প্রার্থনা করি। করোনা দুঃসময়ে অন্যসব পেশার মত সাংবাদিকতা পেশায়ও অস্বাভাবিক বিপর্যয় ঘটেছে। জীবিকার অনিশ্চয়তার পাশাপাশি সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপন করাও দুঃসাধ্য। শঙ্কা, উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তার ধকল সামলাতে না পেয়ে অনেকের মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়েছে। এক বছরে ৩৪ জন সদস্যকে হারানো মর্মান্তিক ঘটনা। এ সময় আমরা হারিয়েছি ক্লাবের সাবেক সভাপতি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ারকে। হারিয়েছি বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যতম সিনিয়র সদস্য জাহিদুজ্জামান ফারুককে। ক্লাবের ৬৭ বছরের ইতিহাসে এক সঙ্গে এত বেশিসংখ্যক সদস্যের মৃত্যু এক বিরল ও শোকাবহ অধ্যায়। ক্লাব ও সাংবাদিকতা পেশার অপূরণীয় ক্ষতি। এই শূন্যতা ও মর্মবেদনায় আমরা শোকস্তব্ধ।অনন্তলোকে যাঁরা পাড়ি জমিয়েছেন, তাঁদের আত্মীয় পরিজনের প্রতি আমাদের গভীর আন্তরিক সমবেদনা। তাঁদের মনোকষ্টের অংশীদার আমরাও। প্রিয়জন বিয়োগের আঘাত সহ্য করার মত শক্তি যেন আল্লাহ তাঁদের দান করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময়ে আমাদের যে সাথীরা এখন অবর্তমান, আমরা মনে করি তাঁদের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা আদর্শ আমাদের সঙ্গে সব সঞ্চয় রয়েছে। সেই সঞ্চয় ও পাথেয় সম্বল করে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। | null | বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। - | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2022/03/31/%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be/ | অর্থপাচার মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ | রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থ পাচার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটিতে পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন- পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম। ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা দায়ের করা হয়। এগুলোর মধ্যে অর্থ পাচার আইনের মামলাটি ২০২১ সালের ২১ মার্চ গুলশান থানায় দায়ের করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। পরে ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর এ মামলাটিতে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির আরেক পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও মফিজুর রহমানের ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন। | অর্থপাচার,পাপিয়া,পাপিয়া দম্পতি | পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন | national |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2020/09/12/566071 | জনবান্ধব পুলিশের জন্য 'পুলিশ কমিশন' গঠন করুন: আ স ম রব | গণবিরোধী নির্মম পুলিশী ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের 'জীবন' 'অধিকার' এবং 'মর্যাদা' রক্ষায় সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিদ্যমান পুলিশি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার নিম্নলিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যা, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ডে পুলিশের সম্পৃক্ততায় প্রমাণ হয় বিদ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা দিয়ে আইনের শাসন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। একজন নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে হত্যা করা দুইশ' বছরের ব্রিটিশ আমলেও সংঘটিত হবার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন রাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত নাগরিককে খুন করা রাষ্ট্রীয় কর্তব্যে রূপান্তরিত হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন | null | আ স ম রব | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/03/02/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%93-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95/ | মানসিকভাবেও সহিংসতার শিকার নারীরা: আইনমন্ত্রী | আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'শেখ হাসিনার সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অধিকার ও সুবিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। এসব আইন নারী ও শিশুর অধিকার এবং তাদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।' 'এরপরও নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার বা বিচার পাত্তয়ার ক্ষেত্রে এখনও অনেকটা পিছিয়ে আছেন। অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন অনেকে। যা মোটেও কাম্য নয়।' আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে 'পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি আইনি সেবার ভূমিকা' শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, নারীরা শুধু শারীরিকভাবেই সহিংসতার শিকার হচ্ছেন না, তারা বিভিন্ন উপায়ে মানসিকভাবেও সহিংসতার শিকার। যদিও মানসিকভাবে সহিংসতার শিকারের ঘটনাগুলো সেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে না। এমন সহিংসতার কারণে পরবর্তীতে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় এর প্রভাব পড়ছে পরিবারের উপরেই। তিনি আরও বলেন, পরিবার কেন্দ্রিক নারীর প্রতি এসব শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার ২০১০ সালে 'পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন' এবং ২০১৩ সালে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ বিধিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু বাস্তবে এ আইনের প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না। তার মানে, এ আইন সম্পর্কে তারা এখনও পুরাপুরি জানেন না। তাই এ আইন সম্পর্কে নারীদের পাশাপশি পুরুষদেরও জানাতে হবে। এজন্য প্রয়োজন প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। আইনমন্ত্রী বলেন, পরিবার কেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার নারীরা দেশে প্রচলিত আইন সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন হলে এবং তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপরাধসমূহ আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করালে, দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা অনেকটাই হ্রাস পাবে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সব সময়ই আন্তরিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতার শিকার নারীদের অধিকার ও সুবিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বিনা খরচে তাদের সরকারি আইনি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আইনগত সহায়তা প্রদান আইন- ২০০০ অনেকটাই নারীবান্ধব। তাই এ আইনের আওতায় নারী সেবা গ্রহীতার সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সহিংসতার শিকার নারীরা এখন ঘরে বসেই '১৬৪৩০' হেল্প লাইনে ফোন করে সরকারি আইনি সেবা নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার ২৮৬ নারী বিনা খরচে সরকারি আইনি সেবা নিয়েছেন। আনিসুল হক বলেন, সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রম এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত নিয়ে গেছে। নারী নির্যাতনের অনেক খবর সরকারের কাছে পৌঁছায় না। তাই বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগ পেলে তা সরকারি লিগ্যাল এইড অফিসে পৌঁছানোর বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নারীরা যদি জানে, তার বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি বা সালিশের মাতব্বররাই শেষ ভরসাস্থল নয়, তাদের ভরসার আরও জায়গা আছে, তাহলে তারা লিগ্যাল এইড অফিসে যাবে। এ বিষয়ে নারীদের সচেতন করতে হবে। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বিকাশ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। | null | শনিবার 'পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি আইনি সেবার ভূমিকা' শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক | national |
https://samakal.com/entertainment/article/1704287708/মহাশূন্যে-প্রিয়াংকা-চোপড়া | মহাশূন্যে প্রিয়াংকা চোপড়া! |
সব কিছু ঠিক থাকেলে খুব শিগগিরই বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়াকে মহাশূন্যে ভাসতে দেখা যাবে!
তবে বাস্তবে নয়, তার পরের সিনেমার পর্দায় তাকে এই ভূমিকায় দেখা মিলবে।
সিনেমাটিতে তিনি ভারতীয় মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার নাম-ভূমিকায় অভিনয় করবেন।
কয়েক বছর ধরে নবাগতা প্রিয়া মিশ্রা পরিচালিত এই সিনেমাতে প্রিয়াংকা চোপড়ার অভিনয়ের কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তার নাম ঘোষণা করা হল।
পর্দায় প্রিয়াংকাকে মহাশূন্যে আটকা পড়তেও দেখা যাবে।
কল্পনা চাওলা ১৯৯৭ সালে কলম্বিয়া থেকে মহাশূন্যে তার প্রথম যাত্রাটি করেন।
২০০৩ সালে তিনি তার দ্বিতীয় অভিযাত্রায় ৬ জন ক্রুসহ মহাশূন্যে সাটল দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনি মহাশূন্যে মোট ৩১ দিন, ১৪ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট কাটান। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
| বলিউড,প্রিয়াংকা চোপড়া | : টাইমস অব ইন্ডিয়া | entertainment |
https://samakal.com/bangladesh/article/180330/মঞ্চ-ভেঙে-পড়ে-গেলেন-মেয়রসহ-৫০-অতিথি | মঞ্চ ভেঙে পড়ে গেলেন মেয়রসহ ৫০ জন | রাজধানীর পরিবাগে 'জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মঞ্চ ভেঙে নিচে পড়ে গেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনসহ ৫০ জন অতিথি। তবে এই ঘটনায় হতাহত হননি কেউ। বৃহস্পতিবার পরিবাগ মসজিদ সংলগ্ন দক্ষিণ গেইট এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পরই মঞ্চে ওঠেন প্রধান অতিথি মেয়র সাঈদ খোকন। পরে নাগরিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভোগান্তির অভিযোগ শুনে তার সমাধান দিচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী। এ সময় হঠাৎ হুড়মুড় করে মঞ্চ ভেঙে নিচে পড়ে যান সবাই। পড়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আল্লাহর রহমতে আমাদের কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। সবাই ভালো আছেন। এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ হামিদ খান বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে আমার জন্য এটা লজ্জাজনক। | মঞ্চ,ভেঙে পড়া,মেয়র,সাঈদ খোকন,ডিএনসিসি | মঞ্চ ভেঙে পড়ার পর মেয়র খোকনসহ অন্য অতিথিরা | national |
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/598812/বাংলাদেশের-বিপক্ষে-অস্ট্রেলিয়ার-অধিনায়ক-ওয়েড | বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ওয়েড | আগামীকাল শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। এতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন ম্যাথু ওয়েড। হাঁটুর ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে অধিনায়কের নাম ঘোষণা না করেই সিরিজ খেলতে গেল ২৯ জুলাই বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সিরিজ শুরুর আগের দিন, অর্থাৎ আজ দলের অধিনায়কের নাম ঘোষনা করলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দলের অধিনায়কত্ব পেলেন ওয়েড। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিএ। নিয়মিত সহ-অধিনায়ক প্যাট কামিন্সসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন। এতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দলের দায়িত্ব পেলেন ওয়েড। দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। গেল বছর ফিঞ্চের অনুপস্থিতিতে ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন ওয়েড। সেটিতে তার দল হেরেছিলো। আগামীকাল শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। পরের চারটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট। সবগুলো ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ। বাংলাদেশ বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া দল : ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন আগার, ওয়েস আগার, জেসন বেহরেনডর্ফ, জশ হ্যাজলউড, মইসেস হেনরিক্স, মিচেল মার্শ, বেন ম্যাকডেরমট, অ্যালেক্স ক্যারি, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, রিলে মেরেডিথ, জশ ফিলিপ, মিচেল স্টার্ক, মিচেল সুয়েপসন, অ্যাস্টন টার্নার, অ্যান্ড্র টাই ও এডাম জাম্পা।সূত্র : বাসস | null | বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ওয়েড | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/3724/%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A6%93 | এশিয়া কাপ হচ্ছে না এই বছরও | ঢাকা: করোনা মহামারিতে এবারও বাতিল হয়ে গেছে এশিয়া কাপ। বিশ্বকাপ সামনে রেখে আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্টটি। গত বছর পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ। করোনায় পিছিয়ে এ বছরের জুনে সেটি শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা থাকলেও এবারও হচ্ছে না টুর্নামেন্টটি। এ বছরের অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবার এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়ার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা অ্যাশলে ডি সিলভা বলেছেন, 'বর্তমান পরিস্থিতেতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব নয়।' এই টুর্নামেন্ট ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যেহেতু সব দলেরই ব্যস্ত সূচি আছে, বিশ্বকাপের পর যেকোনো সময় টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা কথা জানিয়েছেন ডি সিলভা। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আজ থেকে বিমানপথে ১০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। | ক্রিকেট,এশিয়া কাপ | এ বছরও হচ্ছে না এশিয়া কাপ। | sports |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2018/01/11/296610 | ইথিওপিয়া থেকে বিদেশে শিশু দত্তক নেওয়া বন্ধ | ইথিওপিয়া থেকে বিদেশি নাগরিকদের শিশু দত্তক নেওয়া নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। দত্তক নেওয়া শিশুরা বিদেশে অবহেলা ও নির্যাতনের মধ্যে বড় হচ্ছে- এই আশঙ্কার পটভূমিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবিসির খবর, মার্কিন নাগরিকরা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যে সব শিশু দত্তক নেন, তার সবচেয়ে বড় উৎসই হল ইথিওপিয়া। আফ্রিকার এই দেশটির থেকে শিশু দত্তক নেওয়া তারকাদের তালিকায় রয়েছেন হলিউড তারকা ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলিও। ইথিওপিয়ার আইন-প্রণেতারা এখন বলছেন সে দেশে অনাথ ও সামাজিকভাবে বিপন্ন শিশুদের এখন স্থানীয়ভাবে যে সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে সেই পদ্ধতির মধ্যেই বড় করে তোলা হবে। তবে অনেকে আবার বলছেন, দেশটির বিপন্ন শিশুদের দেখাশুনো করার মতো উপযুক্ত সামাজিক অবকাঠামোই নেই। বিডি-প্রতিদিন/১১ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব | null | ২০০৫ সালে ইথিওপিয়া থেকে তার কন্যাকে দত্তক নেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। | international |
https://www.ajkerpatrika.com/86550/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF | বেহাল শতবর্ষের লাইব্রেরি | ঐতিহ্যবাহী বরিশাল বিএম কলেজের শত বছরের লাইব্রেরি ধুকে ধুকে চলছে। সেখানে নেই আধুনিকায়নের ছোঁয়া। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ রিডিং রুম ব্যবহার অনুপযোগী। তা ছাড়া নতুন বই ও পর্যাপ্ত সংবাদপত্র না রাখায় আগ্রহ হারাচ্ছেন তাঁরা।অপরিচ্ছন্ন ও শ্রীহীন কমন রুম বিমুখ ছাত্রীরা। একই ভবনে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার মিউজিয়াম এবং চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে তালাবদ্ধ। দক্ষ জনবল না থাকায় লাইব্রেরি ভবনের কার্যক্রম অনেকাংশে অচল হয়ে পড়ছে। বেহাল এ লাইব্রেরি মাঝে মধ্যই তালাবদ্ধ থাকে। এ নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। কলেজে কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে করোনার দোহাই দিয়েছেন।গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিএম কলেজের লাইব্রেরি ভবনের রিডিং রুম ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন। সেখানে একটিমাত্র পত্রিকা পড়ে আছে। রুমটি স্যাঁতসেঁতে ও অন্ধকার। শিক্ষার্থীরা ওপরের দিকে দেখিয়ে বললেন, পলেস্তারা খসে পড়ায় আসতেও ভয় করে।মহসিন নামে একজন কর্মচারী থাকলেও তিনি বইয়ের নাম পড়তে জানেন না। মাঝে মাঝে তালা দিয়ে উধাও হয়ে যান তিনি। এ লাইব্রেরিতে ৫০ হাজারের মত বই থাকলেও সেগুলো সংরক্ষণের অভাব স্পষ্ট।পাশের ছাত্রী কমনরুম থেকে বেড়িয়ে আসা কয়েক ছাত্রী জানান, তাদের কক্ষের ফার্নিচার ঘুণে ধরেছে। বাথরুমের পর্দা এত অপরিষ্কার যে তারা আসা ছেড়ে দিয়েছেন। মমতাজ বেগম নামে একজন কর্মচারী থাকলেও তাঁকে অধ্যক্ষ তার বাসভবনে নিয়ে এক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করান- এমনটাই অভিযোগ করলেন ছাত্রীরা।ছাত্র কমন রুমের বিপরীতে চিকিৎসা কেন্দ্রে ঝুলছে তালা। ভবনের দোতলায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের দুর্লভ মিউজিয়াম বন্ধ থাকায় দেখার সুযোগ নেই ছাত্র-ছাত্রীদের। কলেজের ছাত্র শাওন খান জানান, লাইব্রেরি তাদের আকর্ষণ করে না। কারণ সেখানে নতুন বই, পত্রিকা নেই। পরিবেশও নেই। মিউজিয়াম এবং চিকিৎসা কেন্দ্র তারা কবে খোলা দেখেছেন মনে নেই।কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বুধবার শিক্ষক সমিতির সম্পাদককে নিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পরিদর্শন করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ অযৌক্তিক নয়। করোনায় কার্যক্রম কিছুটা অকার্যকর হয়েছে। তবে তাঁরা লাইব্রেরিকে আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। জনবল বৃদ্ধি করে পাঠক ফিরিয়ে আনারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে লাইব্রেরিয়ান এবং সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদ শূন্য। জানতে চাইলে কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আফিল উদ্দিন বলেন, তাদের জনবল সংকট রয়েছে। বই পড়তে পারেন না এমন কর্মচারী দিয়ে লাইব্রেরি পরিচালনা সম্ভব না বলে মত তাঁর। মিউজিয়াম ও চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ প্রসঙ্গে বলেন, 'এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।'বিএম কলেজের সাবেক অধ্যাপক এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, পিয়ন চাপরাশি দিয়ে লাইব্রেরি চলে না। কলেজে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। লাইব্রেরিতে ৫০-৬০ হাজার বই। শত বছরের এই লাইব্রেরি অচল। কেন চিকিৎসক নেই, মিউজিয়াম খোলা হচ্ছে না। ছাত্রীদের কমন রুমের স্টাফ অধ্যক্ষের বাসভবনে দায়িত্ব পালন করা দুঃখজনক।বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, লাইব্রেরি সব সময়ই খোলা থাকে। করোনার কারণে ছাত্র ছাত্রী উপস্থিতি খুবই কম। তিনি জানান, রিডিং রুম ও কমন রুম আগের চেয়ে অত্যাধুনিক। | শিক্ষার্থী,বিএম কলেজ,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,লাইব্রেরি,আজকের বরিশাল | বিএম কলেজের লাইব্রেরিতে ৫০ হাজার বই রয়েছে। তবে যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় বইগুলো নষ্ট হচ্ছে। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/5044/%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95 | জয়পুরহাটে জেলা জামায়াতের নেতাসহ পাঁচজন আটক | জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২ মে) দিবাগত রাতে জেলার কালাই উপজেলাপাড়া থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও ওলামায়ে মাসায়েক বিভাগের সম্পাদক মো. রেজাউল করিম (৪৭), কালাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুনসুর রহমান (৪৭), কালাই উপজেলা শাখার সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক উপজেলা আমির ও কালাই টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. তাইফুল ইসলাম (৪৭), সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান (৪৪) এবং ওলামা মাসায়েক বিষয়ক সম্পাদক ও কালাই পৌর জামায়াতের আমির মো. মোজাফফর হোসেন (৪৭)।কালাই থানার ওসি সেলিম মালিক তাঁদের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন বৈঠকের খবরে পুলিশ কালাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুনসুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় জিহাদি বইসহ আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। | বাংলাদেশ,জয়পুরহাট,আটক,গ্রেপ্তার | জয়পুরহাটে জেলা জামায়াতের নেতাসহ পাঁচজন আটক | politics |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/399484/যেকোনো-ব্যক্তিকে-যত-দিন-খুশি-প্যারোলে-মুক্তি-দেয়া-যায়-খন্দকার-মাহবুব | যেকোনো ব্যক্তিকে যত দিন খুশি প্যারোলে মুক্তি দেয়া যায় : খন্দকার মাহবুব | বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্রবীণ আইনবিদ খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সরকার কারাবন্দীদের প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে ২০১৬ সালের ১ জুন যে নীতিমালা প্রকাশ করেছে, সেখানে সাজাপ্রাপ্তসহ সবাই প্যারোলে পেতে পারেন। সাধারণ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জেলা প্রশাসক দিতে পারেন। বিশেষ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ক্রমে যেকোনো ব্যক্তিকে যেকোনো দিন যত দিন খুশি প্যারোলে দিতে পারেন। আমরা ইতিপূর্বেও দেখেছি আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তিনিও কিন্তু প্যারোলে গিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করে এসেছেন। আমাদের অ্যাক্টিং (বিএনপির) চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্যারোলে গিয়ে চিকিৎসার অবস্থায় আছেন। অতএব প্যারোল সম্পর্কে এ ধরণে বিভ্রন্তি থাকার কারণে এই ব্রিফিং। রোববার সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের নিজ চেম্বার এক ব্রিফিংয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে কি প্যারোলের চিন্তা করছেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, না, সেটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা তার মামলা করি। প্যারোলটা মামলা সংক্রান্ত ব্যাপার নয়। এটা একটা বিশেষ বিধান। যখন একটি লোক চরম অসুস্থ হয়ে পড়েন তার চিকিৎসা দরকার, আর আইন অনুযায়ী আদালতে জামিন পেতে তার অনেক সময় লেগে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার ইচ্ছা করলে তাকে প্যারোলে মুক্তি দি পারেন। চিকিৎসার জন্য দিতে পারেন। বিশেষ কারণে দিতে পারেন। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিকার সংরক্ষণ করা আছে। যেকোনো সময়ের জন্য প্যারোল দিতে পারেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে খালেদা জিয়া প্যারোল চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত, যারা নীতি নির্ধারক আছেন তাদেরও সিদ্ধান্ত দরকার হবে, যার জন্য তারও সিদ্ধান্ত দরকার হবে। স্ট্যান্ডিং কমিটি যদি তাকে পরামর্শ দেন, সে পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্যারোলে যাবেন কী যাবেন না এটা সম্পূর্ণ তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত । খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আইন বলে সাজাপ্রাপ্ত এবং কয়েদি, হাজতি সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। ২০১৬ সালে যে নতুন নীতিমালা হয়েছে, সেখানে সাজাপ্রাপ্ত বা হাজতি এখানে কোনো পার্থক্য নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে সরকারের উপর। তিনি আরো বলেন, প্যারোল যিনি দেবেন তিনি নির্ধারণ করবেন কত দিন প্যারোলে থাকবেন, কত দূর যাবেন। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্ত। এখানে কোনো আইনের বিধান নেই। আদালতের কোনো ভূমিকা নাই। প্যারোল দিবেন কিনা সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আবার যার দরকার তিনি নিবেন কিনা সেটাও তার সিদ্ধান্ত।খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আদালতের আদেশে বা সরকারের বিশেষ সিদ্ধান্তে প্যারোলে মুক্তির প্রয়োজন হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ক্রমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোনো বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া যায়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্যারোল মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি সাজাপ্রাপ্তসহ সকল কারাবন্দীর ব্যাপারে প্রযোজ্য হবে। এ ব্যাপারে আইনগত বিধান সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞ আইনজীবী বক্তব্য দিচ্ছেন, তা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক নয়। | null | খন্দকার মাহবুব হোসেন | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/62325/%E0%A6%AD%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | ভর-পেট খাওয়ার পর ৫০ পথশিশু পেল উপহার | ময়মনসিংহে ৫০ পথশিশুকে ভর-পেট খাওয়ানোর পর উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছে স্বপ্ন-পূরণ নর-নারী উন্নয়ন সংস্থা। এসব উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল নেইলকাটার, কলম, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, টুথপেস্ট, টুথ ব্রাশ, শ্যাম্পু, স্কুল ব্যাগ এবং গোসলের সাবান। গত শনিবার বিকেলে নগরীর সাহেব কোয়াটার এলাকার গ্রীন পয়েন্টে শিশুদের খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে এ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।উপহার হাতে পেয়ে নগরীর থানার ঘাট এলাকার শিশু শান্ত বলছিল, 'অনেক দিন পর পেট-ভরে মুরগির মাংস, ডিম দিয়া পোলাও খাইছি। খুব ভালো লাগছে।' নগরীর কাঁচিঝুলি এলাকার পলাশ দাসের কথায়, 'সবার সঙ্গে এক সঙ্গে হয়ে আমরা খাইছি। খাওয়ার পর আমাদের স্কুল ব্যাগসহ অনেক কিছু উপহার দিয়েছে।'টাউন হল এলাকার মিথিলা ও ইভার ভাষ্য, 'আমরা খাওয়ার পর অনেক উপহার পেয়েছি। সঙ্গে একটা ব্যাগ পেয়েছি। আমার আগে স্কুলব্যাগ ছিল না। এখন থেকে বই ব্যাগে নিয়ে স্কুলে যাব।'স্বপ্ন পূরণ নর-নারী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আফসানা আক্তার বলেন, 'শুধু পথশিশুদের খাওয়ানোর পর উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এতে শিশুরা অনেক খুশি। শিশুদের মাঝে আনন্দ খুঁজে পাই। তারা খুশি হলেই অনেক ভালো লাগে। খাওয়া-দাওয়া ও স্কুলব্যাগ আমাদের সংস্থা থেকে বিতরণ করা হলেও অন্যান্য উপহারসামগ্রী আফরা আচল নামে এক শিক্ষার্থী দিয়েছে।'এর আগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ সেবিকা দেলোয়ারা আক্তার প্রমুখ। | ময়মনসিংহ বিভাগ,ময়মনসিংহ,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,আজকের ময়মনসিংহ | পথশিশুদের উপহার দিয়েছে স্বপ্ন-পূরণ নর-নারী উন্নয়ন সংস্থা। | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/crime/বামনায়-নির্বাচনী-কার্যালয়-থেকে-ককটেল-হামলা-আলীগ-নেতাসহ-আহত-৮ | বামনায় নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ককটেল হামলা, আ.লীগ নেতাসহ আহত ৮ | বরগুনার বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল সিকদারের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর ককটেল হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাসহ আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে উপজেলার সোনাখালী বাজারের বামনা-পাথরঘাটা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই ভবন থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি ককটেল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেছে। এ ছাড়া এ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২০ জনকে আটক করে। ককটেল হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাব্বির তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক কৃষ্ণকান্ত কর্মকার, মানিক কুমার পঙ্কজ, ছাত্রলীগের নেতা হৃদয় দাশ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজিব হোসেন আব্দুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়ার গোলদার ও সংবাদকর্মী ফয়সাল সিকদার। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, বুধবার বেলা ১টায় দক্ষিণ আমতলী গ্রামে রহিম হাওলাদারের বাড়ির সামনে ককটেল নিক্ষেপ করার খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় সোনাখালী বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল সিকদারের নির্বাচনী কার্যালয়ের দোতলা থেকে ৭-৮টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে হৃদয় দাশ (২০) নামে ছাত্রলীগের এক নেতার ডান হাত গুরুতর জখম হয়। এর পর থেমে থেমে আরও কয়েক দফায় ওই ভবন থেকে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আরও আটজন আহত হন। বামনা সদর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান বলেন, 'আমার নেতা-কর্মীদের ওপর ককটেল নিক্ষেপের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে হতবাক হয়ে গেছি। আমাকে লক্ষ্য করেও বেশ কয়েকবার ককটেল ছোড়া হয়। আমি এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।' এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ওই নির্বাচনী কার্যালয় থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীকের) সোহেল সিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) তরিকুজ্জামান সোহাগসহ ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রথম আলোকে বলেন, 'পরিস্থিতি এখন শান্ত। আমরা অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, চারটি ককটেল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব প্রার্থী সমান অধিকার পাবেন। কোনো বাড়তি সুযোগ-সুবিধা সুযোগ দেওয়া হবে না। | হামলা,রাজনীতি,অপরাধ,আওয়ামী লীগ | বরগুনা জেলার মানচিত্র | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/173345/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%9F%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%C2%A0 | মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ | ৩ পদে মোট ৮৬ জনকে নিয়োগ দেবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইউনিসেফ সাহায্যপুষ্ট ' ()' প্রকল্প। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।পদের নাম: হার্মফুল প্র্যাকটিসেস প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর।পদের সংখ্যা: ৭টি।বেতন: ৭০,০০০ টাকা।শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।অভিজ্ঞতা: সরকারি, বেসরকারি বা কোনো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা, অধিকার/ক্ষমতায়নবিষয়ক কাজে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় প্রতিবেদন প্রণয়ন, যোগাযোগ, উপস্থাপনা, এমএস অফিস ও ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।বয়স: ১১ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫০ বছর।পদের নাম: চাইল্ড রাইটস ফ্যাসিলিটেটর।পদের সংখ্যা: ৭টি।বেতন: ৩৫,০০০ টাকা।শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।অভিজ্ঞতা: সরকারি, বেসরকারি বা কোনো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা, অধিকার/ক্ষমতায়নবিষয়ক কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় প্রতিবেদন প্রণয়ন, যোগাযোগ, উপস্থাপনা, এমএস অফিস ও ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে।বয়স: ১১ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর শিথিলযোগ্য।পদের নাম: চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ক্লাব অর্গানাইজার।পদের সংখ্যা: ৭২টি।বেতন: ১৫,০০০ টাকা।শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড থেকে কমপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।অভিজ্ঞতা: সুরক্ষা, অধিকার বিষয়ে শিশু ও কিশোর-কিশোরী, পিতা-মাতা এবং কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এমএস অফিস ও ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।বয়স: ১১ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০ বছর।আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা এই ... এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন। টেলিটক চার্জসহ ১১২ টাকা (অফেরতযোগ্য) পরীক্ষার ফি অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।আবেদনের শেষ তারিখ: ৩০ এপ্রিল, ২০২২।সূত্র: এপিসি. টেলিটক. কম | চাকরি,ক্যারিয়ার টিপস,চাকরির খবর,নিয়োগ,নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি,সরকারি চাকরি | মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ | education-career |
https://www.ajkerpatrika.com/9608/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%97-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81 | কুষ্টিয়ায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু | কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জন ও করোনার উপসর্গ নিয়ে দুইজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। অন্য একজন উপসর্গ নিয়ে কুমারখালী উপজেলা হাসপাতালে মারা গেছেন। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ ১৪ জুলাই বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসেবে, ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় গতদিনের চেয়ে শনাক্তের হার বেড়ে ৩৬ শতাংশ হয়েছে।গত ৭ দিনেই কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ৭ দিনে জেলায় ১ হাজার ৭৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত ৩৬৯ জনের মৃত্যু হলো।এদিকে কোভিড ডেডিকেটেড কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল মোমেন জানান,২০০ বেডের বিপরীতে করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ২৭৯ জন। এদের মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ২০৫ জন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।এদিকে, চলমান লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে চলছে। শহরে-গ্রামে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। অধিকাংশ রায় স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। | করোনা,করোনাভাইরাস,কুষ্টিয়া,মৃত্যু,খুলনা বিভাগ,কুষ্টিয়া সদর | কুষ্টিয়ায় শনাক্তের হার ৭ বেড়ে ৩৬ শতাংশ হয়েছে। | national |
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2021/05/23/651938 | স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিশাল জনসভা করে জরিমানার মুখে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
| ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইরে বলসোনারো। বরাবরই করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এবার কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই দেশটির মারানহাও প্রদেশে করলেন বিশাল জনসভা। সেখানে কোনো শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখা হয়নি। মাস্ক পরেননি প্রেসিডেন্টসহ কেউই। এজন্য শাস্তিস্বরূপ তাকে জরিমানা করতে চলেছেন প্রদেশটির প্রশাসন। করোনায় মোট মৃত্যুর দিক দিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। কোভিডবিধি কার্যকর করা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। এমনকি, করোনা টিকার প্রতিও অনীহা প্রকাশ করেন তিনি। পরে অবশ্য নিজেই করোনা আক্রান্ত হন। তবু বিধিনিষেধ মানার বালাই নেই তার। প্রদেশটির প্রশাসন আরও জানায়, আইনের চোখে সকলেই সমান। তাই নিয়মভঙ্গ করায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাকে জরিমানা করে হবে। সূত্রের খবর, এ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রেসিজডন্টের অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জবাব দিতে ১৫ দিন সময় নিয়েছে বলসোনারোর অফিস। সূত্র: আল-জাজিরা বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। | life-health |
https://www.prothomalo.com/world/india/কংগ্রেসে-যোগ-দিচ্ছেন-কানহাইয়া-কুমার | কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন কানহাইয়া কুমার | দলবদলের রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন ভারতের বামপন্থী রাজনীতির তরুণ আইকন কানহাইয়া কুমার। কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে তাঁর দলত্যাগের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে শনিবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২ অক্টোবর কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে পরিকল্পনা বদলেছে। আগামী মঙ্গলবারই ভগত সিংয়ের জন্মবার্ষিকীতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এ সময় কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে গুজরাটের এমএলএ এবং জনপ্রিয় দলিত নেতা জিগনেশ মেভানিরও কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামী বছরের কয়েকটি রাজ্য নির্বাচন ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তরুণদের দলে নেওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে দলটি ভাবমূর্তি ফেরানোর পাশাপাশি ভারতীয় রাজনীতিতে ক্রম ক্ষীয়মাণ প্রভাব জোরদারের চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তরুণ আইকনদের দলে আনার চেষ্টায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নাম কানহাইয়া কুমার। বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী কানহাইয়া কুমারের বাড়ি বিহারে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেলে গিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে। ওই সময় কানহাইয়া কুমার নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা আফজাল গুরুর ফাঁসি কার্যকরের চতুর্থ বার্ষিকীর। ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আফজাল। ওই দিন জেএনইউ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভা থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ স্লোগানের অভিযোগ ওঠে। সেই সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পরে এই ৩ সাবেক ছাত্রনেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুলিশ। আটক করা হয় কানহাইয়া কুমারকে। তিন সপ্তাহ তিহার জেলে থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। এ ঘটনা ভারতজুড়ে কানহাইয়া কুমারকে তরুণ আইকনে পরিণত করে। ওই সময় ভারতে 'আজাদি'র স্লোগানের পুনর্জন্ম ঘটে কানহাইয়া কুমারের গলায়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারের একটি আসন থেকে কানহাইয়া কুমার ভোটে দাঁড়ান। তবে বিজেপির হাই প্রোফাইল প্রার্থী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে পরাজিত হন। জয়ী হতে না পারলেও সুবক্তা হিসেবে জাতীয় রাজনীতির মাঠে নিজের অবস্থান আরও পোক্ত করেন কানহাইয়া কুমার। একই সঙ্গে নির্বাচন করতে গিয়ে ৭০ লাখ রুপি গণচাঁদা তুলে আবারও আলোচনার জন্ম দেন তিনি। | ভারত,কংগ্রেস | কানহাইয়া কুমার | international |
https://www.bd-pratidin.com/country/2019/11/15/474857 | হবিগঞ্জে সীমের বাম্পার ফলন | হবিগঞ্জে শীতকালীন সবজি সীমের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্য সবজির তুলনায় কম পুঁজিতে বেশি লাভের কারণে ইদানিং সীম চাষে ঝুঁকছেন এ জেলার চাষিরা। গত বছরের তুলনায় ফলন ও দাম- দুটোই ভালো হওয়ায় বেজায় খুশি কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা না পাওয়ায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। শুরুতে প্রতি কেজি সীম ১০০/১২০ টাকায় দামে বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি সীম কৃষকরা পাইকারী ৫০/৬০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় সীম চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ধান চাষের চেয়ে সীম চাষে বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এখানকার উৎপাদিত সীম জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে অনেক কৃষক জানিয়েছেন তারা কৃষি বিভাগ থেকে কোন ধরণের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা না পাওয়ার তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঢাকা সিলেট-মহাসড়কের বাহুবল এলাকায় দিয়ে গেলে দেখা যায় সীম চাষের জমি। ধান চাষ করে লাভ না হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা এখন সীম চাষের প্রতি ঝুকছেন। বাহুবল উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের হাওরে গিয়ে অসংখ্য সীম চাষের জমি দেখা গেছে। এ গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় গ্রামের কৃষকরা মূলত ধান চাষ করতেন। কিন্তু বাজারে ধানের মূল্য না থাকার কারণে ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছে। বরং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন বর্তমান বাজারে ধানের মূল্য সাড়ে ৪ থেকে ৪৮০ টাকা। আর প্রতি মন সীমের মূল্য বর্তমান বাজারে প্রাইকারী ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে কারণে কৃষকরা চলতি মৌসুমে জমিতে আমন ধান চাষ না করে সীমের চাষ করেছেন। তবে এ অঞ্চলের কৃষক কৃষি বিভাগের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে কল্যাণপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, তিনি এবার সাড়ে ৪ কের জমিতে সীমের চাষ করেছেন। প্রতি কের জমিতে খরচ হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিক্রি আসবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে কোন ধরণে পরামর্শ কিংবা সরকারি ঔষধ পাচ্ছেন না। ভালো ঔষধ না পাওয়ায় সীম গাছের পাতাগুলো মরে যাচ্ছে। এতে গাছের ক্ষতি হচ্ছে। গাছের পাতা মরে যাওয়ার কারণে প্রতিদিন আমাদের পরিচর্যা করতে হচ্ছে। কৃষক মুক্তার আলী জানান, তার অনেক জমি রয়েছে। সেগুলো বর্গা নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা সীম চাষ করেছেন। তিনিও ২ কের জমিতে সীম চাষ করেছেন। গত বছর এলাকার কৃষক যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ঔষধ না পাওয়ার কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ বিদেশ চলে গেছেন। আবার কেউ অন্য পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। যারা লাভবান হয়েছেন এবার তারাই সীমের চাষ করেছেন। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে সীমের উৎপাদন বাড়ছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, তুলনামূলক ভাবে ধান চাষের চেয়ে সীম চাষ লাভজনক হওয়ার দিন দিন এর চাষের চাহিদা বাড়ছে। উৎপাদিত সীম জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে লাভবান হচ্ছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরাও। তাদের হিসেবে এক মৌসুমে এখানে ১৫ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন সীমের উৎপাদ হবে। এতে প্রায় ৭৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা উপার্জিত হবে। তিনি বলেন, সীমে প্রটিন রয়েছে। সীম খেতেও সুস্বাদু সবজি। তাই তিনি সীম চাষ করার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান ধান চাষের চেয়ে সীম চাষ লাভবান হওয়ায় কৃষকরা সীম চাষের প্রতি ঝুঁকছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল | null | সীম গাছের পাতা পরিচর্যা করছেন কৃষকরা | national |
https://samakal.com/whole-country/article/210768375/সিলেটে-অর্ধেক-নামানো-সাটারে-চলছে-বেচাকেনা | সিলেটে অর্ধেক নামানো সাটারে চলছে বেচা-কেনা | 'কুন্তা লাগবোনি? আইউক্কা (কিছু লাগবে? চলে আসেন)।' পথচারীদের দেখলে এভাবেই আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা। এতে সাড়া দিয়ে অনেকেই অর্ধেক নামানো সাটারের নিচ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছেন। এভাবে মাথা নিচু করে আসা-যাওয়া চলছে; হচ্ছে কেনাবেচা। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কালিঘাট ও মহাজনপট্টি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা ও নিত্যপ্রয়োজনের দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল চলছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। এর মধ্যেই লুকোচুরি করে চলছে কেনা-বেচা। নগরীর প্রধান পাইকারি ব্যবসার কেন্দ্রস্থল কালিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে একটি শাটার অর্ধেক তুলে ব্যবসা চলছে। প্রতিটি দোকানের সামনে একটি কর্মচারী ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছে। সামনে দিয়ে কেউ গেলেই তারা হাঁক ছাড়ছেন- 'কুন্তা লাগবোনি, আইউক্কা'। পার্শ্ববর্তী কালিঘাটে দোকানপাটের চিত্রও প্রায় একই। এভাবে ব্যবসা প্রসঙ্গে মহাজনপট্টি ও কালিঘাট এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী দাবি করেন, মানুষের প্রয়োজন মেটাতে দোকান খুলেছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করোনার জন্য দোকানপাট বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে দফায় দফায় লোকসান হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে দোকান খুলেছেন। নগরীর প্রধান বিপনি বিতান ও মার্কেটগুলো বন্ধ থাকলেও এভাবে অর্ধেক শাটার তুলে অনেক জায়গায়ই কেনা-বেচা হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় গভীর রাত পর্যন্ত দোকানের একটি শাটার অর্ধেক বা পুরো খুলে ব্যবসা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলে এলেই ঝটপট শাটার নামিয়ে ভেতরে বাতি নিভিয়ে ফেলেন দোকানি। এদিকে চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পর মঙ্গলবার সিলেটের রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা আরও বেড়েছে। সকাল থেকে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে। এমনকি রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারে কিছু সময়ের জন্য রাস্তায় যানজট দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের চলাচলের সময় বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরলেও পাড়া-মহল্লায় ভিন্ন চিত্র। পাড়া-মহল্লায় অযথা রাস্তা ও দোকানপাটে আড্ডাবাজির পাশাপাশি মাস্ক পরার প্রবণতাও কম দেখা যাচ্ছে। মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, পুলিশ পুরোপুরি তৎপর রয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত লকডাউন বাস্তবায়নে ২০২ মামলার বিপরীতে ২ লাখ ২০ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করেছেন। অন্যদিকে মহানগর পুলিশ ১৬৩ টি যানবাহন আটক, ১২০টি মামলা ও ৬২ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেছে। | সিলেট,লকডাউন,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান | লকডাউনে সিলেটে শাটার অর্ধেক খোলা রেখে ভেতরে চলছে কেনাবেচা | national |
https://www.dailynayadiganta.com/education/335981/এক-ঘন্টা-এগোনো-হলো-সমাপনী-পরীক্ষার-সূচী- | এক ঘন্টা এগোনো হলো সমাপনী পরীক্ষার সূচী | নভেম্বর মাস জুড়ে চলবে জুনিয়র স্কুল ও দাখিল সার্টিফিকেট এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। শেষ হবে ২৬ নভেম্বর। সমাপনী পরীক্ষা এবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে। চলবে পরবর্তী আড়াই ঘন্টা। গত বছর পর্যন্ত এ পরীক্ষা হতো বেলা ১১টায়। পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও পরীক্ষার সময়সূচী চূড়ান্ত করা হয় নি। বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ পরীক্ষা সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ নয়া দিগন্তকে তথ্য জানান। তারা আরো জানান, এবার উত্তরপত্র মূল্যায়ন হবে একই উপজেলায়। আগে এক উপজেলার খাতা খাতা ভিন্ন উপজেলায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হতো। এবার থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেয়া হবে। আগে এ সময় দেওয়া হতো ২০ মিনিট। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব , প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের(ডিপিই) মহাপরিচালকসহ অন্যান্য অতিরিক্ত সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জুনিয়র স্কুল ও দাখিল সার্টিফিকেট শুরু হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। গত ১৯ জুলাই বোর্ড চেয়ারম্যানদের সাথে শিক্ষা সচিবের বৈঠকে এ তালিক চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্রে জানা গেছে। পরীক্ষার সময়সূচী শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলেই ঘোষনা করা হবে। | null | এক ঘন্টা এগোনো হলো সমাপনী পরীক্ষার সূচী | education-career |
https://www.ajkerpatrika.com/50145/%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%C2%A0 | এবি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার | এবি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা ছিল।রাজধানীর গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সূত্র জানায়, তাঁকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা যায়। | ঢাকা বিভাগ,মামলা,গ্রেপ্তার,ব্যাংক,অপহরণ,প্রতারণা,ঢাকা | উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান। | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2021/11/23/714530 | ক্ষমতাচ্যুত সুদানের প্রধানমন্ত্রীকে পুনর্বহাল করছে সেনাবাহিনী
| এক মাস আগে সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে পুনর্বহাল করতে যাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত মাসে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন আবদাল্লাহ হামদক। এরপর সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে ২০২৩ সালে দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন হামদক। চুক্তি স্বাক্ষরের পর হামদক বলেন,''সুদানের প্রতিটি নাগরিকের জীবন গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আমরা রক্তপাত বন্ধ করে তরুণদের এ শক্তিকে উন্নয়নের কাজে লাগাই।'' বন্দিদের মুক্তি দেবে সেনাবাহিনী আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে হামদক জানান, সেনাবাহিনীর সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, তিনি স্বাধীনভাবে মন্ত্রণালয় গঠন করতে পারবেন। জানা গেছে, দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে রক্তপাত ঠেকাতেই তিনি সেনাবাহিনীর সাথে চুক্তিতে রাজি হয়েছেন। এদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ বুরহান ধন্যবাদ হামদককে জানিয়ে বলেন, ''তিনি ধৈর্য্য ধরে এখন (চুক্তিতে পৌঁছা পর্যন্ত) পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন।'' ১৪ দফার এ চুক্তি অনুযায়ী, সকল রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেবে সেনাবাহিনী। ইউরোপও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া হামদককে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন পলিসি চিফ ইয়োজেফ বোরেল বলেন, ''অক্টোবরের সেনা অভ্যুত্থানের পর অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য সুদানের জনগণ একতা ও অন্তর্ভুক্তি দেখতে চায়।'' নতুন এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ''এটি হলো অন্তর্বতীকালীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার প্রথম ধাপ।'' এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, দু'পক্ষের এ আলোচনার ফলে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, প্রধানমন্ত্রীর পুনর্বহাল, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার এবং সমন্বয় প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি ইতিবাচক। তবে সুদানের গণতন্ত্রপন্থী কিছু গোষ্ঠি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, সেনা অভ্যুত্থানের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সাথে জনগণের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় তাদের। সূত্র: ডয়চে ভেলে বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | সুদান, প্রধানমন্ত্রী, ক্ষমতাচ্যুত, পুনর্বহাল, সেনাবাহিনী | আবদাল্লাহ হামদক | international |
https://samakal.com/sports/article/210768868/মেসি-না-নেইমার-পরিসংখ্যানে-এগিয়ে-কারা | মেসি না নেইমার, পরিসংখ্যানে এগিয়ে কারা? | ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকার এবারের আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্ধী দল আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল। সেমিফাইনালে পেরুকে হারিয়েছে ব্রাজিল, অপরদিকে কলম্বিয়াকে হারিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। রোববারের ফাইনাল ম্যাচের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব ফুটবল। তার আগে দেখে নিন পরিসংখ্যানে এগিয়ে কারা। ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। অবশেষে ১৪ বছর পর বড় কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্তিনা। ইতিহাস বলছে, বড় আসরে ব্রাজিলের কাছে পাত্তাই পায় না আর্জেন্টিনা। এর আগে ২০০৭ সালের কোপা ফাইনালে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। এবারেও কী সেই ফলের হাইলাইটস হবে নাকি রেজাল্ট বদলাবে। তবে ২০০৭ সালের পরে আরও একবার কোপায় মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। তবে কোপার পূর্ণ ইতিহাস দেখলে ব্রাজিলের থেকে কোপা আমেরিকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত ১৪ বার দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছে আলবেলিস্তারা। আর ৯ বার কোপায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। কোপা আমেরিকার দ্বৈরথে এগিয়ে আলবেলিস্তারা। এখন পর্যন্ত ৩৩টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ১৫টি জিতেছে আর্জেন্টিনা, ১০টি ব্রাজিল, ড্র হয়েছে ৮ ম্যাচ। গোলের সংখ্যার দিকেও এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসির দেশ কোপায় ব্রাজিলের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত করেছে ৫২টি গোল অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নেইমারের ব্রাজিল করেছে ৪০টি গোল। কোপাসহ সামগ্রিক পরিসংখ্যান দেখলে এগিয়ে আছে ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত দুই দেশ পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে মোট ১০৭ বার। ৩৯টিতে জিতেছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল জিতেছে ৪৩টিতে, ড্র হয়েছে ২৫টি ম্যাচ। আর্জেন্টিনা গোল করেছে ১৬১টি, ব্রাজিল ১৬৬টি। বিশ্বকাপে চারবার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ২ বার জিতেছে ব্রাজিল, একবার আর্জেন্টিনা, একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ব্রাজিল গোল করেছে ৫টি, আর্জেন্টিনা তিনটি। ফিফা কনফেডারেশনস কাপে একবারই হয়েছে এই দ্বৈরথ, ২০০৫ সালের ফাইনালে। সেই ম্যাচটিতে ব্রাজিল জেতে ৪-১ গোলে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলায় দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে আটবার। চারবার জিতেছে ব্রাজিল, দুবার আর্জেন্টিনা, দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। এবার রোববারের ফাইনাল ম্যাচের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব ফুটবল। এখন দেখার বিষয়, কোপা আমেরিকা ২০২১ এর ফাইনালে নেইমার ও মেসি, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের রেকর্ড কতটা বদলাতে পারেন। | ব্রাজিল,আর্জেন্টিনা,ল্যাটিন আমেরিকা,কোপা আমেরিকা,পরিসংখ্যান | শিরোপার অপেক্ষায় দুই দেশের দুই তারকা।
| sports |
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/03/09/509381 | করোনা আতঙ্ক: সৌদি থেকে ফিরেই যুবকের মৃত্যু | জ্বর, হাঁচি-কাশি আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে সৌদি আরব থেকে শনিবারেই ঘরে ফিরেছিলেন তিনি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার মৃত্যু হল ৩৩ বছরের সেই যুবকের। রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওই যুবক ডায়াবেটিস মেলিটাসে আক্রান্ত ছিলেন। রক্তে শর্করার পরিমাণ ৫৫০ মিলিগ্রামের বেশি ছিল। ডায়াবেটিকস কিটোঅ্যাসিডোসিস হলেও জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বমি হতে পারে। ''আমরা জেনেছি, ওই যুবক পাঁচ দিন ইনসুলিন নিতে পারেননি। সেই জন্য তার শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ওই যুবকের করোনাভাইরাস ছিল বলে মনে হচ্ছে না। রবিবারেই কলকাতার নাইসেডে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস) মৃতের লালা রসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে নিশ্চিতভাবে এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব হবে,'' বলেন সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মৃতের নাম জিনারুল হক। তিনি মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পলাশপুকুর অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনি সৌদি আরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে পরিচ্ছন্নকর্মীর কাজ করছিলেন। পারিবারিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি ফোনে জিনারুল জানিয়েছিলেন, তিনি যে হাসপাতালে কাজ করতেন, সেখানে বিভিন্ন সংক্রমণ নিয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছিলেন। তারই মধ্যে কাজ করতে করতে ওই যুবক নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সৌদি আরবে চিকিৎসা এবং ওষুধের খরচ খুব বেশি। তাই ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার বিডি প্রতিদিন/কালাম | null | জিনারুল হক | life-health |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/12/10/%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b8-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a7%87/ | মহাকাশে প্রথম অফিস খুলতে যাচ্ছে তাস | বিশ্বে প্রথমবারের মতো রুশ বার্তা সংস্থা তাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কার্যালয় চালু করতে যাচ্ছে। বার্তাসংস্থাটি মহাকাশ কেন্দ্রের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। জানা গেছে, বার্তা সংস্থা তাসের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত ছবি, খবর ও ভিডিও আপলোড করা হবে। রুশ চিত্রনায়ক নভোচারি আলেকজান্ডার মিসুরকিন মহাকাশে তাসের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করবেন। তিনি হতে যাচ্ছেন প্রথম মহাকাশ সাংবাদিক। তিনি সয়ুজ এমএস ২০ মহাকাশযানের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই মহাকাশে পৌঁছেছেন। সে সময় তার সঙ্গী ছিলেন জাপানি ধনকুবের ইয়াসাকু মায়েজাওয়া ও সহযোগী ইয়োজো হিরানা। গত ১৭ নভেম্বর বার্তা সংস্থা তাস ও রসকসমসের মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। চুক্তির পর তাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সার্গেই মিখাইলভ বলেন, নভোচারিদের সহকর্মী হিসেবে পাওয়া তাসের সব কর্মীর জন্য সম্মানের। রসকসমসের সিইও দিমিত্রি রোগোজিন বলেছেন, মহাকাশে তাসের কার্যালয় খোলার কারণে আরও অনেক লোক রাশিয়ার মহাকাশ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবে। তাসের কর্মীসংখ্যা প্রায় দুই হাজার। বিশ্বের ৬০টি দেশে তাদের ৬৩টি ব্যুরো অফিস আছে। | আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন,তাস,মহাকাশ,রাশিয়া,রুশ বার্তা সংস্থা তাস | প্রতীকি | international |
https://www.prothomalo.com/world/europe/১২-থেকে-১৫-বছরের-শিশুদের-জন্য-ফাইজারের-টিকার-অনুমোদন-দিল-ইইউ | ১২ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিল ইইউ | ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ পর্যবেক্ষক সংস্থা। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়। শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাই প্রথম অনুমোদন পেল। ইইউর এই অনুমোদনের পর ইউরোপে টিকাদান কর্মসূচির আরও অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী মাস থেকেই জার্মানি ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির টিকানীতি-বিষয়ক প্রধান মার্কো ক্যাভালেরি এক সংবাদ সম্মেলনে ১২ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এত দিন পর্যন্ত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইইউ। আমস্টারডামভিত্তিক ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি বলছে, এই টিকা নেওয়ার পর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস টুইটে জানান, শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি সরকার বাধ্যতামূলক করেনি। টিকা দেওয়া না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিভাবকেরা নেবেন। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির প্রধান এমার কুক বলেছেন, আগামী জুন মাসে শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন পাবে। ট্রায়ালে ফাইজারের টিকা শিশুদের জন্য খুবই নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা বলেছেন, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হলে স্কুল খোলা সহজ হবে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। মডার্না বলছে, ট্রায়ালে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে টিকা কার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পরে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার জুনের প্রথম দিকে টিকা অনুমোদন দেবে বলে তারা আশা করছে। | সুখবর,ইউরোপীয় ইউনিয়ন,করোনাভাইরাস,টিকা | ১২ থেকে ১৫ বছরের শিশুদের জন্য ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিল ইইউ | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/05/02/%e0%a6%aa%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%be/ | পশ্চিমবঙ্গে যারাই ক্ষমতায় আসুক সম্পর্ক অটুট থাকবে: তথ্যমন্ত্রী | তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অটুট থাকবে। রবিবার (২ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন তাদের আভ্যন্তরীন বিষয়, যারাই সরকার গঠন করুক না কেন বাংলাদেশ-ভারতের গভীর সম্পর্ক অটুট থাকুক এবং ভারতের গণতন্ত্রের বিজয় হোক এটাই প্রত্যাশা। এসময় মামুনুল হক প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী মামলা করার পর দিবালোকের মতো স্পষ্ট সে দুষ্কর্ম করেছে। তিনি বলেন, যারা ফতোয়া দিয়ে এই বিয়ে টাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছিলো তারাও এই দুষ্কর্মের সহযোগী। | null | ড. হাছান মাহমুদ । | national |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/06/09/657785 | মডেল মসজিদ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা | দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে বৃহস্পতিবার ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি ৫০টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরের বদরগঞ্জ, ঢাকা, খুলনা ও সিলেটে সরাসরি সংযুক্ত থাকবেন। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরাসরি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চারটি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতিথিরা। জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, শহরসহ রংপুরের ৫টি মসজিদ উদ্বোধন হবে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদরগঞ্জে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন। উদ্বোধন উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এমপি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, একসঙ্গে এত মসজিদ নির্মাণ করা এটা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে উত্তরের জেলা রংপুরের বদরগঞ্জ মডেল মসজিদের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। বিডি প্রতিদিন/এমআই | মডেল, মসজিদ, উদ্বোধন, উপলক্ষে, প্রস্তুতিমূলক, সভা | রংপুর মডেল মসজিদ। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/4817/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8 | স্মার্টফোনকে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহার করবেন কীভাবে? | ওয়েবক্যাম ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাস, ভিডিও কলিং, অফিসিয়াল মিটিং অনায়াসেই করা যায়। বেশির ভাগ ল্যাপটপে এই ওয়েবক্যাম থাকে। তবে অনেকেই ল্যাপটপের পরিবর্তে বাসায় ডেস্কটপ ব্যবহার করেন। এই ডেস্কটপে দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওয়েবক্যাম থাকে না। আবার ল্যাপটপে থাকা ওয়েবক্যামগুলোর মানও অনেক ক্ষেত্রে খুব ভালো হয় না। এ ক্ষেত্রে আপনার কাছে থাকা স্মার্টফোনই হতে পারে সমাধান।আপনার কাছে যদি একটি অ্যানড্রয়েড ফোন থাকে, তাহলে আপনি সেটিকে বিশেষ উপায়ে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও একটি নির্দিষ্ট পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারের আওতায় যাবে। কম্পিউটারের একটি সফটওয়্যার এটিকে ওয়েবক্যাম ভিডিও হিসেবে দেখাবে। এ জন্য ইউএসবি কেবল অথবা ওয়াইফাইকে কাজে লাগানো যেতে পারে।ইউএসবি কেবলের মাধ্যমে স্মার্টফোনকে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহারের উপায়:উএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে ওয়েবক্যাম ব্যবহার করার জন্য প্রথমে 'ড্রয়েডক্যাম' অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে।এর পর কম্পিউটারে আপনার পছন্দের ব্রাউজারে ঢুকে (://..///) এই লিংকে ভিজিট করুন। এখান থেকে ড্রয়েডক্যাম উইন্ডোজ ক্লায়েন্ট অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। সফটওয়্যারটি জিপ ফাইলে থাকবে। এক্সট্রাক্ট করে মূল ফাইলটি আপনার কম্পিউটারে ডাবল ক্লিকের মাধ্যমে ইনস্টল করে নিন।সেটআপ শেষ হলে আপনার ফোনটি ইউএসবি ক্যাবল দিয়ে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করুন। ফোনের সেটিংস থেকে ইউএসবি ডিবাগিং মোড আগেই চালু করে নিন।এবার কম্পিউটারে ড্রয়েডক্যাম ক্লায়েন্ট অ্যাপটি ওপেন করে ইউএসবি অপশনটি দেখিয়ে দিন। ফোন ঠিকমতো সংযুক্ত হলে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন।এবার ফোনের ব্যাক ক্যামেরা চালু হবে এবং আপনি আপনার স্মার্টফোনকে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। ফোনটিকে হাতে না রেখে কোনো সমতল জায়গায় রাখলে ভিডিও কোয়ালিটি ভালো আসবে।এবার আপনার পিসি থেকে যে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ব্যবহার করেন সেটি চালু করুন। এর পর সেটিংস অপশনে গিয়ে ভিডিও অপশনটি বাই ডিফল্ট অপশন থেকে পরিবর্তন করে ড্রয়েডক্যাম সোর্স টু সিলেক্ট করে দিন। এর পর ভিডিও কলে জয়েন করলেই আপনার মোবাইলের ব্যাক ক্যামেরাটি ওয়েবক্যামের ভূমিকা পালন করবে। আপনি চাইলে মোবাইল অ্যাপটির মেনু অপশনে গিয়ে পরিবর্তন করে আপনার স্মার্টফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরাটিও ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোনকে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহারের উপায়:আপনার স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ইন্টারনেট যদি একই নেটওয়ার্কের আওতায় থাকে, তাহলে কম্পিউটারে ড্রয়েডক্যাম ক্লায়েন্ট অ্যাপটি ওপেন করে ওয়াইফাই অপশনটি সিলেক্ট করে দিন।এর পর মোবাইল অ্যাপটিতে গিয়ে ডিভাইস আইপি ও পোর্ট নম্বর দেখে পিসির অ্যাপটির পপআপ বক্সে বসিয়ে দিন। ভিডিও ও অডিও বক্সে টিক মার্ক নিশ্চিত করে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন। তাহলেই স্মার্টফোনের ক্যামেরাটি ওয়েবক্যাম হিসেবে কাজ করা শুরু করবে। | স্মার্টফোন,কম্পিউটার,টিপস | ইউএসবি পোর্ট বা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে স্মার্টফোন সংযুক্ত করে একে ওয়েবক্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। | science-tech |
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2021/06/17/660624 | খুব দ্রুত তিস্তা নদীর খনন কাজ শুরু হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী | বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, খুব দ্রুত তিস্তা নদীর খনন কাজ শুরু হবে। চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বাজেট অধিবেশনের পর এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তিস্তা নদী খনন করার পর নদীর দুইধারে বিস্তীর্ণ এলাকা তৈরি হবে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি'র রংপুর শহরের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী বরাবর তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্মারকলিপিতে ৬ দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে নদী সুরক্ষায় মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণের কথা বলা হয়। এছাড়া তিস্তার ভাঙনে বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ অন্যান্য দাবিও তোলা হয়। এদিকে, দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর নগরীর নবদীগঞ্জে হিমাগার মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় সাংবাকিদদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এখন চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না। কেননা এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চালের দাম যেন কোনো সিন্ডিকেট চক্রের কারসাজিতে না বাড়ে সে দিকটি দেখা হচ্ছে। এসময় দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, শুধু সয়াবিন তেল ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় অন্য জিনিষপত্রের মূল্য অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। পৃথিবীর সব জায়গায় সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে। তিনি হিমাগার মালিকদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। বিডি প্রতিদিন/এমআই | খুব, দ্রুত, তিস্তা, নদীর, খনন, কাজ, শুরু, হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী | তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি'র কাছে। | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/51128/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF | রোনালদোর বার্ষিক বেতন তিন ক্লাবের চেয়ে বেশি | জুভেন্টাস ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গিয়ে দারুণ ছন্দে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের ত্রাণকর্তা হিসেবেও আবির্ভূত হতে দেখা যাচ্ছে এই পর্তুগিজ মহাতারকাকে। তবে ক্লাবকে দেওয়ার পাশাপাশি ক্লাব থেকে রোনালদো নিচ্ছেনও অনেক। ম্যানইউ রোনালদোকে বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দিচ্ছে। অথচ প্রিমিয়ার লিগে খেলে এমন তিনটি ক্লাব আছে যাদের গোটা স্কোয়াড রোনালদোর চেয়ে কম বেতন পায়।রোনালদোর চেয়ে কম বেতন পাওয়া সেই তিন ক্লাব হচ্ছে নরউইচ, লিডস ও ব্রেন্টফোর্ড। প্রিমিয়ার লিগে আসা-যাওয়ার মাঝে থাকা নরউইচ স্কোয়াডে থাকা ৩১ খেলোয়াড়কে বেতন দেয় ২৪.২৪ মিলিয়ন পাউন্ড।গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসে চমক দেয় মার্সেলো বিয়েলসার লিডস ইউনাইটেড। তবে এবারের মৌসুমে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই দলটি। লিডস তাদের স্কোয়াডে থাকা ২৫ খেলোয়াড়কে বেতন দেয় বার্ষিক ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড।লিডসের চেয়েও কম বেতন দেয় ব্রেন্টফোর্ড। ৭৪ বছর প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা ক্লাবটি খেলোয়াড়দের বেতন দেয় রোনালদোর প্রায় অর্ধেক। ২৮ জন খেলোয়াড়কে বছরে তারা বেতন দেয় ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড।বেতন দেওয়ার দিক থেকে সবার ওপরে অবশ্য রোনালদোর ম্যানইউই। বছরে তারা খেলোয়াড়দের বেতন দিচ্ছে ২২৭ মিলিয়ন পাউন্ড। ম্যানইউর পরেই আছে চেলসি। তারা বেতন দেয় ১৬৩ মিলিয়ন পাউন্ড। তৃতীয় স্থানে থাকা সিটির বেতনের পেছনে খরচ করে বার্ষিক ১৪৩ মিলিয়ন পাউন্ড। | ফুটবল,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো,ম্যানইউ | ম্যানইউতে বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন পান রোনালদো। টুইটার | sports |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/12/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f/ | করোনা ইস্যুতে চীনা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা! | করোনার দাপটে এখনও কাঁপছে গোটা বিশ্ব। সংক্রমণের সংখ্যা ৭৫ লাখ, মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষের। এই ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও গোটা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকেই দায়ী করে কাঠগড়ায় তুলেছে আমেরিকাসহ একাধিক দেশ। তাদের প্রত্যেকেরই অভিযোগ চীনের উহান প্রদেশই এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল। আর এরই মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসাবে সেই চীনকেই দায়ী করে মামলা হল ভারতের বিহারের এক আদালতে। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং'এর পাশাপাশি মামলা দায়ের করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস অ্যাঢানম ঘেব্রেইসুস'এর বিরুদ্ধেও। আর এই অভিযোগ পত্রে সাক্ষী হিসাবে নাম রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প'এর। আইনজীবী মুরাদ আলির অভিযোগ, 'সারা বিশ্বে করোনা ছাড়ানোর কাজটা হাত মিলিয়ে করেছেন চিন ও হু। এই কারণেই কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।' তাঁর নির্দিষ্ট অভিযোগ, '২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে উহান প্রদেশ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য দায়ী চীনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং। অন্যদিকে চীনের পক্ষ নিয়ে করোনা সংক্রমণের তথ্য চেপে যাওয়ার জন্য দায়ী হু'এর প্রধান।' গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেতিয়া সেক্টরে প্রধান বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই সম্পর্কিত মামলাটি হয়। ভারতীয় দন্ডবিধির ২৬৯, ২৭০, ২৭১, ৩০২, ৩০৭, ৫০০, ৫০৪ ও ১২০(বি) ধারায় মামলাগুলি করা হয়েছে। আগামী ১৬ জুন এই মামলার শুনানি হবে। অভিযোগের উৎস হিসাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত ও পত্রিকায় প্রকাশিত করোনা সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলিই আদালতে উপস্থাপনা করবেন বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী মুরাদ আলি। | করোনা,জিনপিং,ভাইরাস,ভারত,মামলা | জিনপিং | international |
https://samakal.com/whole-country/article/211287491/ঘরের-মধ্যে-প্রতিবন্ধী-দিবসের-র্যালি | ঘরের মধ্যে প্রতিবন্ধী দিবসের র্যালি | 'কোভিডোত্তর বিশ্বের টেকসই উন্নয়ন, প্রতিবন্ধী নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনায় উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। তবে র্যালিকরা হয়েছে ঘরের মধ্যে বারান্দায়। বিষয়টি তামাশায় পরিণত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার সকালে পাবনা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে র্যালি, আলোচনা সভা ও হুইলচেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক মো. রাশেদুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, বাসস প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সুইট, জেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা ফারজানা তাজ, সমাজসেবা কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার, প্রবেশন কর্মকর্তা পল্লব ইবনে শেখ, সরোয়ার হোসেন, আসাদুল হক প্রমুখ। সিআরপি, এফডিসিও, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। | প্রতিবন্ধী দিবস,পাবনা | বারান্দায় প্রতিবন্ধী দিবসের র্যালি, : | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/08/21/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a7%87/ | হামলাকারীদের শাস্তি দেখে যেতে চান মাহবুবা পারভীন | আজ সেই ভয়াল ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় নৃশংস গ্রেনেড হামলার শিকার হয়ে শরীরে ১ হাজার ৭৯৮টি স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন সাভারের মাহবুবা পারভীন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সেই জনসভায় ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলাবিষয়ক সহসম্পাদক মাহবুবা পারভীন ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের পাশেই। ভয়াবহ সেই গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানের পাশে যে ৩ জন মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তাদেরই একজন সাভারের মাহবুবা পারভীন। মাহবুবা পারভীনকে মৃত ভেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছিল। ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আশিষ কুমার মজুমদার সেখানে লাশ শনাক্ত করতে গেলে মাহবুবা পারভীনকে জীবিত দেখতে পান। ৭২ ঘণ্টা পর তার জ্ঞান ফিরে আসে। দেশে তার চিকিৎসা ভালো না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে কলকাতায় পিয়ারলেস হাসপাতালে পাঠান। সেই হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয়েছিল শরীরে ১ হাজার ৮০০ স্পিন্টার রয়েছে। এর মধ্যে মাথার ২টি স্প্লিন্টার তাকে অনবরত যন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই তিনি পাগলের মতো হয়ে যান। এরই মাঝে তার পা থেকে ২টি স্প্লিন্টার অপারেশন করে বের করা হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার কোনো খোঁজখবর নেন না। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেহের মধ্যে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে আর্থিক ও মানসিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন পারভীন। ২১ আগস্ট এলেই এর ভয়াবহ স্মৃতি মনে পড়লে এখনো আঁতকে ওঠেন, কান্নায় চোখ-মুখ ভিজে যায় তার। ওই দৃশ্য মনে করলে ভয়ে তার দেহ অবশ হয়ে যায়। তাই এ ব্যাপারে তিনি আর স্মৃতিচারণ করতে চান না। তিনি আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতেই এই হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে। তাদের কারণেই আজ আমাকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছিলাম, আমাকে যারা পঙ্গু বানিয়ে হুইল চেয়ারে বসিয়েছে, আল্লাহ একদিন তাদেরও হুইল চেয়ারে বসাবে। সেই দিনও দেখেছি হুইল চেয়ারে করেই খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় যেতে হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা জেলা (উত্তর) আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মাহবুবা পারভীন মৃত্যুর আগে এ জঘন্য হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যেতে চান। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সাভারের নেতাকর্মীদের বাড়ি-গাড়ির অভাব না থাকলেও আহত মাহবুবা পারভীনকে অন্যের সহায়তায় রিকশা কিংবা বাসে যাতায়াত করতে হয়। এ বিষয়ে সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন, ওই হামলায় যারা পঙ্গুত্ববরণ করেন তাদের মধ্যে সাভারের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী মাহবুবা পারভীনও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেই চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ আমরা সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ সব সময় মাহবুবা পারভীনের খোঁজখবর রাখছি। উল্লেখ্য, তার স্বামী ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) এম এ মাসুদ ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর স্ট্রোক করে মারা যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি মাসে চিকিৎসা খরচের জন্য ১০ হাজার টাকা দিচ্ছেন এবং এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছেন। এ থেকে যে টাকাটা আসে তা দিয়ে চলে তার সংসার খরচ। তাছাড়া বসবাস করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১৪০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন তিনি। | আগস্ট,মাহবুবা,লীগ,সঞ্চয়পত্র,স্প্লিন্টার | মাহবুবা পারভীন | national |
https://www.ajkerpatrika.com/24483/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%88%E0%A6%B2%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A7%A9-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%95-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | আগৈলঝাড়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত ৩ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার | বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ারেন্টভুক্ত তিন পলাতক আসামিকে বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক ইয়ারউদ্দিন উপজেলার চক্রিবাড়ি গ্রামের রুস্তুম হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার ওরফে রাজ্জাক (৩৭), বারপাইকা গ্রামের ইব্রাহিম ফকিরের ছেলে শাহীন ফকির (৩০) ও সোমাইরপাড় গ্রামের মৃত সালাম গোমস্তার ছেলে রাজু গোমস্তাকে (২৮) বুধবার রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত তিন পলাতক আসামিদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। | অপরাধ,বরিশাল বিভাগ,আসামি,আগৈলঝাড়া,বরিশাল | ওয়ারেন্টভুক্ত তিন পলাতক আসামি গ্রেপ্তার। | national |