news_link
stringlengths
42
523
head_lines
stringlengths
2
121
article
stringlengths
1
58.1k
tags
stringlengths
1
285
image_caption
stringlengths
1
1.86k
category
stringclasses
13 values
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/17/%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8/
ভারত থেকে ফেরা যাবে যেকোন সময়, লাগবে না এনওসি
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্টযাত্রীদের চলাচল শিথিল করা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল থেকে যে বিধিনিষেধ ছিল তা শিথিল করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শের পরিপেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে সপ্তাহের সাত দিনই ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন পাসপোর্টধারীযাত্রীরা। যাতায়াতের জন্য অনাপত্তিপত্রও (এনওসি) লাগবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেয় এমন বিভাগগুলো উন্মুক্ত করা হয়েছে। এসব তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মহামারি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রত্যাশায় রয়েছে। চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের কম আছে, তারা বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। সেজন্য তাদের দিল্লি, কলকাতা বা আগরতলায় বাংলাদেশ মিশন থেকে অনুমতি নিতে হত। এখন থেকে এটি আর নিতে হবে না। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের আর বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে চলাচলকারী ছয়টি স্থলবন্দর, বেনাপোল, আখাউড়া, সোনামসজিদ, হিলি, দর্শনা এবং বুড়িমারিতে সীমান্তে চলাচলের জন্য আগের মত চালু হবে। এছাড়া আরো পাঁচটি স্থলবন্দর/স্থল শুল্ক স্টেশন (শেওলা, তামাবিল, ভোমরা, বিরল এবং বাংলাবান্ধা) যাত্রীদের চলাচলের জন্য আগামী রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে খোলা হবে। এমন একটি আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এসেছে বলে শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ আমাদের এখানে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে সপ্তাহে সাত দিনই ভারত থেকে ভারতীয় কিংবা বাংলাদেশি যাত্রী আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এ সময় তাদেরকে অবশ্যই করোনা নেগেটিভের সনদ সঙ্গে আনতে হবে। শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী জানান, সপ্তাহে তিন দিনের পরিবর্তে এখন থেকে সাত দিনই যাত্রীরা দেশে ফিরতে পারবেন। তবে ৭২ ঘণ্টার করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক। এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে কারও অনাপত্তিপত্র লাগবে না।
এনওসি,কোভিড-১৯,ভারত
পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর।
national
https://samakal.com/whole-country/article/201142596/সরকারি-টাকা-পানিতে
সরকারি টাকা পানিতে
সরকারি মাল দরিয়ামে ঢাল- সুনামগঞ্জের শাল্লায় যেন ঠিক তা-ই ঘটেছে। ৩০টির মতো অপ্রয়োজনীয় সেতু করে সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে ফেলা হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে সেতুগুলোর কোনো সংযোগ সড়ক নেই। বেশির ভাগ সেতু তৈরি হওয়ার পরই সংযোগ সড়ক করা হয়নি। কোনো কোনো সেতুর নিচ দিয়ে বা পাশ দিয়ে ডুবন্ত সড়ক হয়েছে, যা কোনো কাজেই আসে না। বর্ষায় এই সেতুগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়। এ সময় ট্রলার বা নৌকা সেতুর ওপর দিয়ে উঠলে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়। কার স্বার্থে সরকারের এই বিপুল পরিমাণ টাকার অপচয় করা হয়েছে তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিশিষ্টজনরা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গত প্রায় ১০ বছরে ৩০টির মতো গ্রামীণ যোগাযোগ সেতু করেছে। সরেজমিন গিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সেতুগুলোর মধ্যে উপজেলার সুখলাইন গ্রামের পাশে দুটি, গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি, আনন্দপুরের একটি, হবিবপুরের একটি, আগুয়াই-নোয়াহাটির একটি, শ্বাসখাইয়ে একটি, মামুদনগরে একটি, ইসাকপুরে একটি, কাদিরপুরের সামনে একটি, মার্কুলির খালে একটি, শাল্লা গ্রামে একটি এবং রূপসা গ্রামে একটি সেতু তৈরি হওয়ার পর থেকেই সংযোগ সড়কহীন। অথচ এসব সেতুর একেকটি তৈরি করতে ৩০ থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। উপজেলার মনোয়া গ্রামের আনিসুল হক চৌধুরী মুন বলেন, উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের পাশে একটি ছোট কালভার্ট হলে হতো। কিন্তু করা হয়েছে সেতু। এই সেতু পাঁচ বছর হয় কোনো কাজে আসছে না। বরং বর্ষায় নৌকা চলাচলে বিপদ হয়। শাল্লা গ্রামের পশ্চিম দিকে করা সেতুর পাশ দিয়ে ডুবন্ত সড়ক হয়েছে। এই সেতু অকারণে দাঁড়িয়ে আছে। রূপসা গ্রামের পাশের আরেক সেতু ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। নেই সংযোগ সড়ক। দুই বছর আগে উপজেলা সদরের পাশে সুখলাইন গ্রামে দুটি সংযোগ সড়কহীন সেতু করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকেই সরকারের মাল যে দরিয়ামে ঢালা হয়েছে, তা সবার নজরে পড়ে। শাল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি পিসি দাস বলনে, একশ্রেণির টাউট ঠিকাদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে সরকারের এই টাকার অপচয় ও লুটপাট হয়েছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করে শাল্লা প্রত্যন্ত এলাকা, এখানে যা খুশি তা করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে পড়বে না। শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলামিন চৌধুরী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন এই সেতুগুলো করা হয়েছে, কেউ জানে না। অনেক স্থানে দুই লাখ টাকা খরচ করলে মাটির সড়ক করা যায়। করা হয়েছে ৩৩ লাখ টাকার সেতু। পানি নিস্কাশনের জন্য সেতু করা হয়ে থাকে। কিন্তু এমনও সেতু আছে, যার নিচ দিয়ে পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনই নেই। বর্ষায় এ সেতুগুলো মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। এগুলোর সঙ্গে ট্রলার বা নৌকা লেগে ফেটে যায় বা ডুবে যায়। এসব সেতু না করে এই টাকা দিয়ে হাওর থেকে ধান ঘরে আনার সড়ক করলে, মানুষের উপকারে আসত। এই টাকার অপচয় কেন হয়েছে, কারা করেছে তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। শাল্লা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরকার মো. ফজলুল করিম বলেন, ৩০টির মতো সেতুর সংযোগ সড়ক নেই, এটা সত্য। বর্ষায় এগুলো বিপদ হয়ে দাঁড়ায় এটাও ঠিক। তবে এগুলো মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য করা হয়েছিল। শাল্লার সিংহভাগ এলাকা বছরের বেশির ভাগ সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকে। যখন সেতু করা হয়েছিল, তখন হয়তোবা সড়ক ছিল। পানির তীব্রতায় বা ঢেউয়ে সড়ক হয়তো ভেসে গেছে। এখন দাঁড়িয়ে আছে কেবল সেতু। আমরা দেখেছি গত ১০ বছরে ১৬ থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে হওয়া ৩০টি সেতুর কোনো কোনোটিতে একেবারেই অ্যাপ্রোচ সড়ক নেই। কোনোটিতে অ্যাপ্রোচ থাকলেও চলার উপযোগী নেই। সেতুগুলোর দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে এই কাজ হবে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করব আমরা।
সেতু,সিলেট,সুনামগঞ্জ,শাল্লা
সুনামগঞ্জের শাল্লা গ্রামের পশ্চিমে সংযোগ সড়কহীন সেতুর ওপর ঘর বানিয়ে বসবাস
national
https://www.ajkerpatrika.com/10791/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A7%AA%E0%A7%AB-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A9%E0%A7%AD%C2%A0
তুরস্কে ৪৫ অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবি, উদ্ধার ৩৭
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে ৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনার পর এরই মধ্যে ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে আটজন। দেশটির নৌবাহিনী জাহাজ ও বিমান দিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের দক্ষিণ উপকূলে অভিবাসীবাহী ওই নৌকাডুবির খবর জানিয়েছে।তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা উপকূলে নৌকাডুবির খবর পায়। দেশের উপকূলীয় শহর কাস থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ২৫৯ কিলোমিটার দূরে ওই নৌকাডুবির খবর পাওয়ার পরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। তবে ডুবে যাওয়া ওই নৌকায় থাকা মানুষজন কোন দেশের নাগরিক সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জীবিতদের উদ্ধারের জন্য ওই এলাকায় অনুসন্ধান চালাতে তুর্কি নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট পাঠানো হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ও জটিলতা দেখা দিলেও এর সঙ্গে কাজ করছে দেশটির নৌবাহিনীর একটি বিমান।
ইউরোপ,নৌকাডুবি
তুরস্কে ৪৫ অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবি।
international
https://www.bhorerkagoj.com/2021/05/02/%e0%a6%a8%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%97%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%b6/
নন্দীগ্রামে এগিয়ে মমতা, শুভেন্দু কি রাজনীতি ছাড়বেন!
নন্দীগ্রামে নিজেকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সেনাপতি বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, মমতাকে আধ লাখ ভোট হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এখন তার সামনে অগ্নিপরীক্ষা। সকালের ভাগে এগিয়ে গেলেও দুপুরের পরই পিছিয়ে গেলেন শুভেন্দু। ১৫ রাউন্ড শেষ হতেই নন্দীগ্রামে এখন আট হাজার ভোটে এগিয়ে গেছেন মমতা। সারা দেশ তাকিয়ে রয়েছে নন্দীগ্রামের দিকে। কেননা নন্দীগ্রামের এবারের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের ভোট গণনার পর তৃতীয় রাউন্ডের হিসাবে বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে ৮ হাজার ২০৬ ভোট এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে পড়ছেন তিনি। খবর হিন্দুস্তার টাইমসের। তবে এটা চূড়ান্ত ফল নয়। এটা নন্দীগ্রামের ফলের গতিপ্রকৃতি। কিন্তু এত গতিপ্রকৃতিতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী সমানে ব্যবধান বাড়িয়ে চলেছেন। তবে তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে নন্দীগ্রামে ১৭টি রাউন্ড গণনা হবে। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণনার আগে দলের প্রার্থী, নেতা ও গণনার এজেন্টদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার সময় বলেছিলেন, কোনও কেন্দ্রে গণনার সময় প্রথম দিকে তৃণমূল প্রার্থীরা পিছিয়ে থাকলে কেউ গণনা কেন্দ্রে হতাশ হয়ে পড়বেন না। শেষ পর্যন্ত দেখবেন তৃণমূলই জিতবে। নন্দীগ্রামের গণনার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথা মিলে যাচ্ছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে জয়ের হাসি হাসবেন সেটা জানতে আমাদের আরও বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তবে নন্দীগ্রামে এবার প্রচারে মেরুকরণের রাজনীতি হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী প্রথমেই ভোটের যে হিসেবে দিয়েছিলেন তাতে তিনি সংখ্যালঘুদের ভোট বাদ দিয়ে বাকি ভোট নিয়ে বিজেপি ভাবছে বলে জানিয়েছিলেন। কাজেই ধরে নেওয়া যায় শুভেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রামের সংখ্যাগুরুর ভোট দিয়েছেন হাত ভরে। তবে এই খবর পরে কেউ ভাববেন না এটাই চূড়ান্ত ফলের খবর। এটা ট্রেন্ড মাত্র। তাই অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। তার পরই জানা যাবে নন্দীগ্রাম কাকে গ্রহণ করল।
null
শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
international
https://www.prothomalo.com/opinion/column/যুক্তরাষ্ট্রযুক্তরাজ্যঅস্ট্রেলিয়ার-চুক্তিতে-কি-সংকটে-ন্যাটো
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়ার চুক্তিতে কি সংকটে ন্যাটো
২১ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁদের এ আলোচনা লন্ডনের জন্য একপ্রকার কূটনৈতিক অভ্যুত্থান। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে তথাকথিত এইউকেইউএস চুক্তির পর তাঁরা একসঙ্গে বসলেন। এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া তাদের নৌবাহিনীকে আধুনিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিউক্লিয়ার প্রপেলারযুক্ত সাবমেরিন কিনবে। যুক্তরাজ্য যুক্ত হওয়ায় প্রতিরক্ষা চুক্তিটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা চুক্তিতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে ফ্রান্সের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ১২টি ডিজেল সাবমেরিন কেনার জন্য ৩৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের যে চুক্তি করেছিল, সেটা ভন্ডুল হয়ে গেছে। জনসনের কাছে পুরো গল্পটা ব্রিটেনকে বিশ্বদরবারে খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার একটা নজির। কেননা ইউরোপের শিকল থেকে বেরিয়ে এসে বৈশ্বিক বিষয়ে মুক্তভাবে বড় ভূমিকা পালন করতে চেয়েছে দেশটি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করেছে ব্রিটেন। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের আয়োজক তারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর টুপিতে এ দুটি ঘটনা দুটি পালক যুক্ত করেছে। সাবমেরিন বিক্রিকে কেন্দ্র করে বাইডেন প্রশাসন ফ্রান্সের সঙ্গে একটি বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। এই বিবাদে চীন ও অন্য ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে মোকাবিলা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সে জন্য বিরক্তিকর ইউরোপীয় মিত্রদের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছে। বাইডেন যেটা মনে করছেন, তার চেয়ে বাস্তবতা আরও জটিল। যুক্তরাজ্য কিংবা ফ্রান্স কোনো দেশেরই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক সাম্য অবস্থা আনার মতো সামর্থ্য নেই। আঞ্চলিক কৌশলগত খেলায় একদিকে চীন, অন্যদিকে আমেরিকা ও আঞ্চলিক মিত্র জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত (তথাকথিত কোয়াড জোট) এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও নিউজিল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গভীর করার মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সামনে একটা সুযোগ এসেছে। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াকে শক্তিশালী করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন এক খেলোয়াড়, যাদের উপস্থিতি গুরুত্ব বহন করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এইউকেইউএস কি ন্যাটোকে তছনছ করে দিতে পারে? ইউরোপের দুই শীর্ষ দেশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিচ্ছে? গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত নিবন্ধ, চীন সরকারের মুখপাত্র এবং কয়েকজন পর্যবেক্ষকের মতে, এ ঘটনা উত্তর আটলান্টিক জোটটির বন্ধনে আঘাত লেগেছে। প্রকৃতপক্ষে দৃশ্যপটের বড় পরিবর্তন ঘটেছে। ক্যানবেরা ও ওয়াশিংটন থেকে ফ্রান্সের দূতদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। মিসাইল সহযোগিতা বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সের মধ্যকার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়েছে। সংকট যে গভীর হয়েছে, এসব ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। তবে এটা একটা সাময়িক ধাক্কা। এর চেয়ে গুরুতর কিছু যে ঘটবে না, তা ধারণা করার বেশ কিছু কারণ আছে। সর্বোপরি লন্ডন ও প্যারিস এর আগে একবারের বেশি সংঘাতে জড়ায়নি। ২০০৩ সালে ইরাক হামলাকে কেন্দ্র করে যে বিরোধ তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, সেটা খুব বেশি দিনের জন্য স্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাকে কেন্দ্র করে তারা শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় মৈত্রীতে আবদ্ধ। তৃতীয়ত, ন্যাটোর বাকি সদস্যদেশ এবং সংস্থাটির মহাসচিব জেন স্টলটেনবার্গ পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয়, সে জন্য চলমান বিতর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। তাঁরা বরং ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছেন, যাতে দেশ দুটি নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারে। এ রকম লক্ষণ এর মধ্যেই দেখা গেছে। ২২ সেপ্টেম্বরের ফোনালাপের পর জো বাইডেন ও এমানুয়েল মাখোঁও একটি সমঝোতামূলক বিবৃতি দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ওয়াশিংটন ফিরে যাবেন। দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে মুখোমুখি সংলাপও আসন্ন। কিন্তু এতে বেইজিংয়ের খুশি হওয়ার কারণ আছে। এএইকেইউএস সংকট ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্য দেশগুলোকে বাইডেন প্রশাসন ও একই সঙ্গে চীনের বাজপাখির মতো যে অবস্থান, সেটা থেকে দূরে থাকার একটা অজুহাত তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন কী করবে? এ ঘটনাকে ধরে ফ্রান্স ইউরোপের বিদেশনীতি আরও শক্তিশালী করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পারলি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, এখন কেবল ইউরোপীয় কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে বলিষ্ঠ ও স্পষ্ট করে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিচেল এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাম্পের নেওয়া 'আমেরিকা প্রথম' নীতি বাইডেনও অনুসরণ করছেন, এমন অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ফ্রান্সের অবস্থান এখন পর্যন্ত আংশিক সঠিক। ইউরোপীয়দের তাদের নিজেদের নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া উচিত। এটা করতে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ফ্রান্সের এবং যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। কিন্তু এ ধরনের সহযোগিতার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই। এইউকেইউএস ইউরোপের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাঁক নয়। কিন্তু এটা ইউরোপের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুব বেশি সহযোগিতাও করছে না। ইংরেজি থেকে অনূদিত, আল-জাজিরা থেকে নেওয়া দিমিতার বেচেভ ফেলো, ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান সায়েন্স, ভিয়েনা
জো বাইডেন,যুক্তরাজ্য,অস্ট্রেলিয়া,যুক্তরাষ্ট্র
হোয়াইট হাউস থেকে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ঘোষণা দিচ্ছেন জো বাইডেন
opinion
https://www.bhorerkagoj.com/2020/06/01/%e0%a6%86%e0%a7%9f%e0%a6%95%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%9f-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%93-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%b2%e0%a7%8b/
আয়কর দেয়ার সময় আরও বাড়লো
জরিমানা ছাড়া আয়কর জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৮৪জি-তে দেয়া ক্ষমতাবলে সোমবার (১ জুন) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে এনবিআর। যে সকল করদাতারা চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন দিতে পারেননি, তারা জরিমানা ছাড়াই আগামী ২৯ জুনের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এনবিআর সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, সকল শ্রেণির করদাতা এবং উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষের জন্য আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং অফিস প্রণালীর অধীন যাবতীয় সময়ানুগ কার্যক্রম পরিপালনের সর্বশেষ সময়সীমা যে সকল ক্ষেত্রে ২৬ মার্চ ২০২০ হতে ৩০ মে ২০২০ তারিখের (উভয় দিন অন্তর্ভুক্ত) মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে, সে সকল ক্ষেত্রে ২৬ মার্চ হতে ৩০ মে তারিখ (উভয় দিন অন্তর্ভুক্ত) পর্যন্ত সময়কাল প্রমার্জনপূর্বক পরিপালনের সময়সীমা ২৯ জুন ২০২০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। প্রমার্জিত সময়কালের জন্য কোনোপ্রকার সুদ কিংবা জরিমানা প্রযোজ্য হবে না বলেও এনবিআরের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, আয়কর কর্তৃপক্ষ, কর আপিলাত ট্রাইব্যুনাল এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমের জন্য আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪, আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪ এবং অফিস প্রণালীর অধীন যাবতীয় সময়ানুগ কার্যক্রম পরিপালনের সর্বশেষ সময়সীমা যে সকল ক্ষেত্রে ২৬ মার্চ ২০২০ হতে ৩০ মে ২০২০ তারিখের (উভয় দিন অন্তর্ভুক্ত) মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে, সে সকল ক্ষেত্রে ২৬ মার্চ ২০২০ হতে ৩০ মে ২০২০ তারিখ (উভয় দিন অন্তর্ভুক্ত) পর্যন্ত সময়কাল প্রমার্জনপূর্বক পরিপালনের সময়সীমা ৫ আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি প্রতিরোধে সরকারের ঘোষণা করা সাধারণ ছুটির কারণে জরিমানা ও সুদ আরোপ ব্যতীত চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মেয়াদের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ায় এনবিআর। এ বিষয়ে গত ২৬ এপ্রিল জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, যে সকল করদাতা মার্চ ও এপ্রিল মাসের রিটার্ন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করতে পারেননি, তারা জরিমানা ও সুদ ছাড়াই আগামী ৯ জুনের মধ্যে দাখিল করতে পারবেন।
আয়কর,কর,ছুটি,জরিমানা,সুদ
আয়কর মেলা ( )
economy
https://www.ajkerpatrika.com/50345/%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%AB%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%A8
দোহারে ২৫০ কোটি টাকার বাঁধে ভাঙন
ঢাকার দোহার উপজেলার প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে বাধের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি আরও তিন কিলোমিটার বাধের কাজ শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বাধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পদ্মানদীতে অবৈধভাবে কাটার দিয়ে বালু উত্তোলন ও বাধের পাড় ঘেঁষে বাল্কহেড দিয়ে ড্রেজারে বালু উত্তোলনের কারণে এমন ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দোহারে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষায় বাধ নির্মাণের ওয়াদা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা-১) আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় নয়াবাড়ি ইউনিয়নে দোহার উপজেলার প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে বাধের নির্মাণকাজ করা হয়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাধের অনেকাংশ ভেঙে গিয়ে পাথরের ব্লকগুলো সরে যাচ্ছে। অনেকে আবার বাধের ওপর দিয়ে নিয়েছে ড্রেজারের পাইপ বসিয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিসহ সঙ্গে এলাকার আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পদ্মায় কাটার দিয়ে ও বাধের পাড়ে বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। প্রশাসনের অভিযানের পরেও থেমে নেই বালু খেঁকোরা। ভাঙনের কারণে নয়াবাড়ি ইউনয়নে পদ্মার পাড়ের মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।এমন খবরে পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। এই পদ্মা ভাঙা প্রসঙ্গে নির্মল রঞ্জন গুহ জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই বাধের ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তিনি অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান। নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, 'আমাদের নেতা সালমান এফ রহমান এমপির উদ্যোগে আমাদের সকলের কাঙ্ক্ষিত বাঁধ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে। কারও ব্যক্তিস্বার্থের কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কাইকে ছাড় দেওয়া হবে না।'তিনি আরও বলেন, 'আমি প্রশাসনকে বারবার বলেছি এ বিষয় তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। আমি জানি না কোনো অদৃশ্য কারণে বা ক্ষমতার জোরে তারা এখনো ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। তাই আমরা প্রশ্ন রইল প্রশাসনের কাছে যে তারা কোনো ক্ষমতা বলে এখনো বালু তুলতেছে এবং তারা কেন এ বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেননি? আমার ঘরবাড়ি এই পদ্মায় ভেঙে গিয়েছে আমি জানি ঘরবাড়ি ভাঙার কষ্ট।'এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কর্মকাণ্ড কেউ করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া যদি কেউ দোহারের সীমানায় পদ্মা নদীতে অবৈধ কাটার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নাওয়া হবে।
ঢাকা জেলা,ঢাকা বিভাগ,জাতীয় সংসদ,দোহার,নদীভাঙন,ঢাকা
দোহারের প্রতিরক্ষা বাধের ভাঙন।
national
https://samakal.com/international/article/210253277/বিশ্বে-করোনায়-আক্রান্ত-১১-কোটি-ছাড়াল
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১১ কোটি ছাড়াল
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৪ লাখ ৪১ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৮ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪ লাখ ৪১ হাজার ১১২ জনের। আর এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৬ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৬ জন। বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৭ জন। আর এই মহামারিতে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮২ জনের। যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩০ হাজার ৬২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৫৭ জনের। মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো তৃতীয় স্থানে আছে। আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১৩ নম্বরে। মেক্সিকোতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ২২ হাজার ৬৬২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ১০৮ জনের। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে চতুর্থ স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ২০১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৪ জনের। মৃত্যুতে পঞ্চম ও আক্রান্ত বিবেচনায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬১৪ জনের। আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম এবং মৃতের সংখ্যায় অষ্টম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ৭৯ হাজার ৪০৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮০ হাজার ৫৮৭ জনের। মৃত্যুর দিক দিয়ে ষষ্ঠ এবং আক্রান্তের সংখ্যায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ইতালি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৪ হাজার ৮৮৭ জনের। গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৯১টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনায় মৃত্যু,করোনায় আক্রান্ত,বিশ্ব
ব্রাজিলের একটি কবরস্থানের দৃশ্য। : গেটি ইমেজেস
international
https://samakal.com/whole-country/article/2203101012/যৌতুক-ও-মাদককে-ঝেঁটিয়ে-বিদায়-করতে-হবে-নওফেল
যৌতুক ও মাদককে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে: নওফেল
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যৌতুক ও মাদককে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, যৌতুক দেওয়া-নেওয়া ও মাদককে সবাই ঘৃণা করে। তবুও যৌতুক ও মাদকের আভিশাপ থেকে মুক্তি মিলছে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। নওফেল বলেন, যারা বিত্তবান ও সচ্ছল তারা বিয়ে-শাদিতে অঢেল টাকা খরচ করে কন্যাকে পাত্রস্থ করেন। মূলত এ কারণেই যৌতুকপ্রথা সমাজে জিইয়ে রয়েছে। ধনীদের বিয়ের নামে অঢেল অপচয় ও বিলাসিতা না থামালে যৌতুকের গ্লানি থেকে সহসা মুক্তি মিলবে না। শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে যৌতুক ও মাদকবিরোধী মহাসমাবেশ ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপমন্ত্রী। রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সহস্রাধিক তরুণ যৌতুক ও মাদককে সমস্বরে 'না' বলেন। রজভীয়া নূরীয়া কমিটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কাউছার হামিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,মাদক,যৌতুক
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
national
https://www.ajkerpatrika.com/166676/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AE-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0
প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ও ক্যারম খেলার দ্বন্দ্বে খুন
প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং ক্যারম খেলার দ্বন্দ্বে মনিরামপুরের রাজাগঞ্জ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ইকরামুল হোসেনকে হত্যা করে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে, পুলিশ এখনই কোনো কিছু বলতে রাজি হয়নি।গত বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধারের পর রাতে এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইকরামুলের চাচা আসাদুজ্জামান আসাদ মনিরামপুর থানায় এ মামলা করেন।আসামিরা হলেন মশ্মিমনগরের ভরতপুর গ্রামের হোসেন আলী মোড়লের তিন ছেলে আমিনুর রহমান, কামরুল হাসান ও জিয়াউল হক জিয়ার, আব্দুল কাদেরের ছেলে মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসানের বড় চাচা গোলাম মোস্তফা এবং আমিনুরের দুই ভাগনে ষোলখাদা গ্রামের দুই ভাই হুমায়ুন কবির ও হেলাল উদ্দিন।গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে ইকরামুল হোসেনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বিকেলে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এক আসামির স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সন্দেহে ইকরামুল খুন হয়েছে। তবে মামলার বাদী আসাদুজ্জামানের দাবি, আমিনুরের সঙ্গে ক্যারম খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইকরামুল খুন হয়।যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যশোর,খুলনা বিভাগ,খুন,দ্বন্দ্ব,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,আজকের যশোর
ইকরামুল হোসেন
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/30/%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/
দীপাবলির আগেই মাকে হারালেন অভিনেত্রী কৌশানী
মাকে হারালেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। শনিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কৌশানীর মা। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। এ দুঃসংবাদ নিশ্চিত করেছেন কৌশানী। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মানুষটি চিরতরে হারিয়ে গেছেন। জীবনের বড়ই কঠিন সময়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন এ অভিনেত্রী। খবর সংবাদ প্রতিদিনের। দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন কৌশানির মা। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণও ধরা পড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে গত ২৩ অক্টোবর তাকে সল্টলেকের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ছুটে যান কৌশানী। খবর পেয়ে ছুটে যান কৌশানীর 'প্রেমিক' অভিনেতা বনি সেনগুপ্তও। হাসপাতালে রাত থেকেই কৌশানীর পাশে ছিলেন বনি। ২০১৫ সালে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত 'পারবো না আমি ছাড়তে তোকে' সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু করেন কৌশানি। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। মুকুল রায়ের বিপরীতে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হন কৌশানী। প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে হেরে যান। সেই সময়ও অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন তার মা। মা ও বাবাকে নিয়েই ভোট দিতে যান তিনি।
কৌশানী,কৌশানী মুখার্জি
মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন কৌশানী
entertainment
https://www.prothomalo.com/business/market/ব্যাংকের-দাপটে-কুপোকাত-অন্য-শেয়ার
ব্যাংকের দাপটে কুপোকাত অন্য শেয়ার
দেশের শেয়ারবাজারে চলছে ব্যাংকের শেয়ারের দাপট। তাতে ব্যাংক ছাড়া অন্যান্য খাতের বেশির ভাগ শেয়ারেরই দাম কমেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সূচকে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ রোববার ৬ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও, ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সূচকের বড় ধরনের পতন ঘটেনি। উল্টো বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টিই ছিল ব্যাংক। এ ৭ ব্যাংকের সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬৯ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার থেকেই শেয়ারবাজারে ব্যাংকের শেয়ারের দাপট শুরু হয়েছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, শেয়ারের বিপরীতে ঋণের ক্ষেত্রে নতুন বিধান করা। শেয়ারের বিপরীতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে গত সোমবার নতুন বিধান চালু করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন বিধান অনুযায়ী, যেসব শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪০-এর কম, সেসব শেয়ারে এখন থেকে ১০০ টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা (১: ০.৮) ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। আগে সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার বিষয়টি সূচকের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সর্বোচ্চ ৮ হাজারে না পৌঁছানো পর্যন্ত সর্বোচ্চ হারে ঋণসুবিধা দেওয়ার বিধান ছিল আগে। সেই বিধান পরিবর্তন করে পিই রেশিওর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সর্বোচ্চ ঋণসুবিধার বিধান করা হয়। এর পর থেকে ব্যাংক খাতের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়ে যায়। কারণ, ব্যাংক খাতের বেশির ভাগ শেয়ারেরই পিই রেশিও ৪০-এর নিচে রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার ডিএসইতে ৩৫৯ কোম্পানির শেয়ারের হাতবদল হয়। এর মধ্যে ২৩০টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ১১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির দাম। ব্যাংক ও আর্থিক খাত ছাড়া অন্যান্য খাতের বেশির ভাগ শেয়ারেরই দরপতন ঘটেছে। ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেন হওয়া ৩২ ব্যাংকের মধ্যে ২৭টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১টির দাম। ঢাকার বাজারে আজ মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৮টিই ছিল ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানি।
ব্যাংক,ডিএসই
ব্যাংকের দাপটে কুপোকাত অন্য শেয়ার
economy
https://www.ajkerpatrika.com/69492/%E0%A6%A1%E0%A7%8B%E0%A6%AA-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%9F
ডোপ টেস্ট রিপোর্ট যেন ভুয়া না হয়
একত্রিশ বছর আগের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের আবাসিক ছাত্র আমি। মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হতে তখনো দুই মাস দেরি। অনার্সের সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিপ্রাপ্তির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে একটি প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে চূড়ান্ত নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে গেলাম।এর কয়েক দিন পর হঠাৎ আমাকে রাজশাহী যেতে হবে। তখন ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত দু-একটি এসি নাইট কোচ চলত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত শুধু নন-এসি বাসের প্রচলন ছিল। মার্চ মাসের গরম শুরু হওয়ায় দূরের গন্তব্যে রাতের ঠান্ডা বাতাসে বাসের জানালা খুলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। সেটা ভেবে রাতের বাসের টিকিট করে যাত্রা শুরু হলো। ঢাকা থেকে আরিচাঘাট পর্যন্ত বাসটি ভালোই চালাচ্ছিলেন চালক। গন্তব্য রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। পুরো বাসের সিট যাত্রীতে ঠাসা।আরিচাঘাটে দিনের আলোর আভা থাকতেই পৌঁছে গেলাম। কিন্তু ফেরি পেতে রাত ৯টা। যমুনা পাড়ি দিয়ে নগরবাড়ী পৌঁছাতে আড়াই-তিন ঘণ্টার নদীযাত্রা করতে হবে।ফেরিতে সবাই তিনতলায় বা ছাদে উঠে নদীর ঠান্ডা বাতাসে অবগাহন করে প্রাণ জুড়ায়। সেখানে নদীর তাজা মাছ দিয়ে ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। খাওয়া সেরে অনেকে ছাদের ডেকে বসে গল্প করে, কেউবা ঘুমায়। তবে চালকেরা তাঁদের সহকারীর হাতে চাবি দিয়ে তাঁদের জন্য নির্ধারিত বিশ্রামের জায়গায় চলে যান। তাঁরা রাতের খাবার খান, শরীর ম্যাসাজ করান এবং অনেকে গাঁজা টানেন বা চোলাই মদ পান করে পেট পোরেন। তখনকার দিনে ফেনসিডিল, খাট, ইয়াবা, ক্রিস্টাল আইস ইত্যাদির প্রচলন ছিল না।রাত ৩টার দিকে নগরবাড়ী ঘাটে ফেরি ভিড়তেই হাঁকডাক, শোরগোলে সবাই নিজ নিজ বাসে উঠে গেলে আমিও আমার বাস খুঁজে নিজের সিটে গিয়ে বসলাম। অনেকে সেদিন ঘুমিয়ে পড়লেও উত্তেজনায় আমার চোখে ঘুম আসেনি। সকাল হলেই যোগদান করব সরকারি চাকরিতে। শুধু ভাবনা আমার মাস্টার্স পরীক্ষার কী হাল হবে, কে জানে!ফেরি থেকে নেমে মূল চালক বাসটির চাবি নিয়ে উল্কার মতো চালাতে শুরু করলেন। বিশ মিনিটও মনে হয় চালাননি, একবার একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা খেতে খেতে বেঁচে গেল। এর কিছুক্ষণ পরের বিষয়টি আমার জীবনে একটি চির স্মরণীয় ঘটনা।হঠাৎ লক্ষ করলাম বাসটি পিচঢালা পথ ছেড়ে পাশের কাঁচা মাটির রাস্তা দিয়ে এলোমেলোভাবে দ্রুত গতিতে ছুটছে। অন্যান্য বাস তাকে ওভারটেক করে শাঁ শাঁ করে সামনে চলে যাচ্ছে। আমি চিৎকার করে মূল রাস্তা দিয়ে চালানোর জন্য বলতে লাগলাম। কিন্তু মনে হয় কেউই সেটা শুনল না। বাসটি হঠাৎ সবাইকে নিয়ে পাশের একটি জলাভূমিতে নেমে গেল। বাসটির সামনের অংশের তিন ভাগ পানিতে, এক ভাগ ডাঙায়। সে অবস্থায় কাদায় চাকা আটকিয়ে থেমে জোরে শব্দ করতে লাগল। যাত্রীরা যে যেভাবে পারেন দরজা-জানালা দিয়ে লাফিয়ে বাইরে বের হতে লাগলেন। কিন্তু বাইরে তো পানি এবং কচুরিপানা ভর্তি অন্ধকার এক জগৎ!আমি হাত ব্যাগটা নিয়ে খোলা দরজা দিয়ে নিজেকে জোর করে ঠেলে বের করে পানিতে নামলাম। পানির গভীরতা অনুভব করতেই সাঁতার দিয়ে ভিজে পাশের রাস্তায় উঠে গেলাম। ভেজা শরীর ও কাদামাখা পোশাকে ভিন্ন একটি বাসে করে রাজশাহী পৌঁছেছিলাম সেদিন। পরে খবরে জেনেছিলাম বাসের চালক ফেরিতে অতিরিক্ত মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় বাস চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় ফেলে দিয়েছিলেন। বাসটি পানিতে পড়ে গেলেও সৌভাগ্যবশত কেউ মারা যাননি। মূল কথা হলো, মাদক সেবন এবং মাদকাসক্ত হয়ে যেকোনো কাজ করাই বিপজ্জনক এবং অনেক বিপদের প্রধান জন্মদাতা।বর্তমানে মাদক ভয়ংকর রূপে লাখ লাখ মানুষের মুখে-শরীরে জায়গা দখল করে ফেলেছে। যারা মাতাল, তারা কী কাজ করবে? তাদের দ্বারা পরিবার ও সমাজের কী লাভ হবে বা কী ক্ষতি হবে বা হচ্ছে, সেটাই এখন বড় চিন্তার বিষয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা অসুস্থ মানুষ। এদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে একশ্রেণির লোভী, শঠ, পিশাচ, অবৈধ মাদক কারবারির অতি অর্থ লোভের কারণে। এরা একটি কালো সমাজ ও কালো পৃথিবীর নিকষ অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা করে ফেলেছে। মাদকের নানা ধরন, নানা নাম, নানা ব্যবসা ও সেবন গিলে ফেলছে সমাজের সুস্থ ভবিষ্যৎকে।শুধু গাড়ির চালকই নন, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, আমলা, পুলিশ, চাকরিজীবী, এমপি, মন্ত্রী, খেলোয়াড়, সৈনিক, রিকশাওয়ালা, টোকাই, সাধারণ মানুষ সবাই কোনো না কোনো কারণে মাদকের গ্রাহক হচ্ছেন দিন দিন। আমাদের দেশে ভয়ংকরভাবে মাদকের গ্রাহক ও ভোক্তা বেড়ে গিয়ে মাদকদ্রব্যের বৃহত্তর বাজার তৈরি হয়েছে। মাদক পাচারের রুট এখন আমাদের সব সীমান্ত-আকাশ, নদী, সমুদ্র, স্থলপথ সবকিছু। চীন সীমান্তে অবস্থিত মিয়ানমারের শান রাজ্য থেকে বস্তা বস্তা ইয়াবার চালান বাংলাদেশে পাঠানো হয়। সেদিনও দেশে (যুগান্তর, ৭. ১০. ২০২১) ১৩ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।মাদক ধ্বংস করছে চরিত্র, ফতুর করছে মাসিক বেতন, জমানো টাকা, অলংকার ও ব্যাংক হিসাব, নষ্ট করছে স্বাস্থ্য, অসাড় করছে দেহ-মন, ভেঙে দিচ্ছে পরিবার এবং ডেকে আনছে অকাল মৃত্যু। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না।এমতাবস্থায় ডোপ টেস্ট একটি নতুন পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় খেপে যেতে পারেন মাদকাসক্তরা। ধরা খাবেন চাকরিরত মাদকাসক্তরা ও বিভিন্ন সেক্টরে চাকরিপ্রার্থীরা (ঢাকা পোস্ট, ৫. ৯. ২০২১)। তাই এই সুযোগ নিয়ে ব্যবসা ফেঁদে বসবে রিপোর্ট ভেজালকারী ও জালিয়াত চক্র। তারা করোনার অবৈধ সার্টিফিকেট বিক্রির মতো ডোপ টেস্টে পাস করিয়ে দেওয়ার নামে ভুয়া ডোপ টেস্টের ব্যবসা খুলে বসবে, সন্দেহ নেই! এটা ঠেকানো জরুরি। তাই যেনতেনভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণের এ নীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে দেশের উপকার না হয়ে অপকারের আশঙ্কা বেশি।এ ছাড়া আগাম ঘোষণা দিয়ে ডোপ টেস্ট করা যাবে না। হঠাৎ করে মোবাইল ডোপ টেস্টের ক্যাম্প করতে হবে সব প্রতিষ্ঠানে। সন্দেহভাজনদের টেস্ট করার আগাম তথ্য না জানিয়ে ডোপের মুখোমুখি করুন। তাতে সুফল মিলবে। কারণ, মাদক গ্রহণের পরে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে ডোপ টেস্টের ফল শূন্য হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে গোপনে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। মূত্র, লালা ইত্যাদি দিয়ে আধুনিক মাদকদ্রব্য সেবনকারীদের ডোপ টেস্টের ফল কার্যকরীভাবে বের না হলে উন্নত কেমিক্যাল টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।মাদকাসক্ত রুগ্ণ জাতি দিয়ে কী হবে? সে জন্য ডোপ টেস্ট করে মাদকাসক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। তবে ১৯৯০ সালে প্রণীত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত আইন, ২০১৮ সালে ২৪ (৪) ধারায় সংশোধিত হয়ে ধরা পড়া এবং ৩৬ (৪) ধারাটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ মনে না হলে আরও কঠিন করে সংশোধনী আনতে হবে।আলাদা মাদকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমত, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বড় বড় বসকে দিয়ে শুরু করতে হবে এই ডোপ টেস্ট। তাহলে ছোটরা ভয়ে মাদক গ্রহণ ছেড়ে দেবে। বছরে সব চাকরিজীবীর জন্য অন্তত এক বা দুবার ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে। যে কেউ টেস্টে পজিটিভ হলে তার বেতন বন্ধ, বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা বলবৎ করতে হবে।দেশে এখন ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। তবে যারা বেশি আসক্ত, তাদের কোনোভাবেই ঠেকানো না গেলে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ভুয়া করোনা সনদ বিক্রির মতো ডোপ টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রির পরিস্থিতি সৃষ্টি ও পরিণতি যেন না হয়, সে জন্য সতর্কতার সঙ্গে আগাম নৈতিক কর্মপরিকল্পনাও নিতে হবে।
মতামত,উপসম্পাদকীয়
অধ্যাপক ড. মো. ফখরুল ইসলাম
opinion
https://www.bd-pratidin.com/sports/2019/02/12/399526
এবার যেভাবে আইপিএল মাতাবেন কিং খান শাহরুখ
বাপ্পি লাহিড়ীর অনুরোধ ফেলতে পারলেন না বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টুর্নামেন্টের এবারের আসর অনুষ্ঠিত হবার আগেই বদলে যাচ্ছে কিং খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের থিম সং। নিজের দলটির থিম সংয়ে কন্ঠ দিতে শাহরুখকে অনুরোধ করেন বাপ্পি। কিন্তু শুরুতে বাপ্পির এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করেন বলিউড বাদশা। তবে বি-টাউনে খবর রয়েছে শেষ পর্যন্ত বাপ্পির কম্পোজিশনে সুপারস্টার সংটিতে কন্ঠ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গানটিতে কন্ঠ দিতে বেশ কিছুদিন ধরে কিং খান অনুশীলনও করেছেন। যদিও গান গাওয়ার প্রথাগত তালিম কিংবা অভ্যাস না থাকলেও শাহরুখের গায়কী নিয়ে বেশ খুশি বাপ্পি লাহিড়ী। বছর পাঁচেক আগে শেষ বারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন শাহরুখের দল কেকেআর। এরপর আর কোনো আসরের ট্রফি জিততে পারেনি দলটি। ধারনা করা যাচ্ছে দলটিতে এসব কারণেই বিগতদিনের অনেক কিছুরই পরিবর্তন আসবে এবার আসরে। শাহরুখের গাওয়া নতুন এ থিম সং এর একটি নমুনা মাত্র। উল্লেখ্য, শাহরুখ খানের কন্ঠে রেকডিং এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি কন্ঠ দিয়েছেন। তবে সব শেষ দেড় যুগ আগে মুক্তি পাওয়া 'জোশ' চলচ্চিত্রের একটি গানে কন্ঠ দেন জীবন্ত এই কিং। বিডি প্রতিদিন/কালাম
null
শাহরুখ খান
sports
https://www.prothomalo.com/chakri/chakri-interview/৪০তম-বিসিএসে-১৮০-জনের-মৌখিক-পরীক্ষার-তারিখ-পরিবর্তন
৪০তম বিসিএসে ১৮০ জনের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ৪০তম বিসিএস (সাধারণ ক্যাডার) ভাইভার সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ৩০ মার্চ ছুটি আছে। ওই দিন অনুষ্ঠেয় ১৮০ জনের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ৩০ মার্চ অনুষ্ঠেয় ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার সাধারণ ক্যাডারের মোট ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ আগামী ১৫ জুন পুনর্নির্ধারণ করা হলো। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ক্যাডারের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ১৫০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয় মৌখিক পরীক্ষা। সম্প্রতি ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ জন। ২০১৮ সালের আগস্টে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। এতে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
চাকরিবাকরি,বিসিএস,সরকারি চাকরি,পিএসসি,চাকরির পরামর্শ
৪০তম বিসিএসে ১৮০ জনের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
education-career
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/601982/গনির-পালানোর-আগে-কী-ঘটেছিল-প্রেসিডেন্ট-প্রাসাদে
গনির পালানোর আগে কী ঘটেছিল প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে
তালেবান বাহিনী একটি গুলি না করেই রোববার আফগান রাজধানী কাবুল জয় করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি স্ত্রী ও দুজন বিশ্বস্ত সহকর্মীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। কোনো কোনো ভাষ্যমতে তিনি তাজিকিস্তানে গেছেন, কেউ কেউ বলছেন, তিনি গেছেন উজবেকিস্তানে। তিনি নিজেও তার অবস্থান প্রকাশ করেননি। সিনিয়র তালেবান কমান্ডারদের ভাষ্যমেত, তাদের প্রথম যে দলটি রাজধানীতে প্রবেশ করে তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোল্লা আবদুল কাইয়ুম জাকির। তিনিই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করেন। মোল্লা আবদুল কাইয়ুম হলেন তালেবানের কমান্ডার-ইন-চিফ মোল্লা ইয়াকুবের ডেপুটি। তারা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দরজায় নক করার আগেই প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি স্থানটি ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন। তালেবানের ভাষ্যমতে, তারা কাবুলে প্রবেশ করতে কিংবা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে কোন ধরনের প্রতিরোধের মুখে পড়েননি। তাদের আসার আগেই আফগান নিরাপত্তা বাহিনী সরে পড়েছিল। তালেবান সূত্র জানায়, পাকতিয়া, খোশত, নাঙ্গাহার, কুনার, নুরিস্তানসহ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো এবং ওয়ারদাগ ও মাইদান শহর দখল করার পর তাদের যোদ্ধঅরা রাজধানীদের দিকে যাত্রা শুরু করে। রোববার সকাল নাগাদ তালেবান বাহিনী কাবুলের ফটকগুলোর কাছে পৌঁছে যায় এবং বিভিন্ন দিক থেকে নগরীকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। তারা কাবুলে তখনই প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদেরকে থামকে বলে, রাজধানী নগরীর ভেতরে প্রবেশ করতে না করে। তালেবান সূত্রটি জানায়, তাদের নেতারা অব্যাহতভাবে আফগান সরকারের সিনিয়র রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছিলেন। তারা চেয়েছিলেন, ক্ষমতার হস্তান্তর যেন হয় শান্তিপূর্ণ। আফগানিস্তানের এক সিনিয়র তালেবান কমান্ডার জানান, তালেবান নেতৃত্ব কোনো ধরনের রক্তপাত চায়নি, বিশেষ করে কাবুলে কোনো রক্তক্ষরণ যাতে না হয়, তা তারা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। তারা তালেবান সামরিক কমান্ডারদের নগরীতে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। তিনি বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে নগরীর কোনো কোনো স্থানে লুটপাট শুরু হয়েছে- এমন খবর পেয়ে তারা সন্ধ্যায় নগরীর ভেতরে প্রবেশ করে। তালেবান সর্বোচ্চ নেতা শেখ হাবাতুল্লাহ আখুনজাদার ঘনিষ্ঠ তালেবান কমান্ডার জানান, শীর্ষ তালেবান নেতৃত্ব কাবুলে প্রবেশ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সশস্ত্র লোকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই যোদ্ধারা নগরীর ভেতরে প্রবেশ করে। তালেবান জানায়, সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে যান মোল্লা কাইয়ুম জাকির। সূত্রটি জানায়, মোল্লা জাকির একটি লাউডস্পিকারে প্রাসাদের নিরাপত্তা স্টাফদের বলেন যে তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।সূত্রটি জানায়, প্রাসাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কেউ কোনো ধরনের প্রতিরোধ চালায়নি। তিনি বলেন, একটি গুলি না চালিয়েই কাবুল দখল করা হয়েছে। তালেবান যখন কাবুলের নিরাপত্তা ও রক্তক্ষরণ না হওয়া নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সভাপত্তিতে তালেবান বা তৃতীয় পক্ষের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তাতে আলোচনা হয়। তালেবান সূত্রটি জানায়, বৈঠকে সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও অন্যাণ্য আফগান রাজনৈতিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। তারা দুটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেন। প্রথম বিকল্পটি ছিল, দোহার তালেবান নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। দ্বিতীয়টি হলো, তৃতীয় একটি পক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। তারাই পরে তালেবানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। কিন্তু তালেবান তা গ্রহণ করেনি। তারা তাদের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলে।তালেবান জানায়, এই আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় আশরাফ গনি দেশ ত্যাগ করেন।
তালেবান,কাবুল,প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ,গনি
তালেবান নেতৃবৃন্দ
international
https://samakal.com/international/article/211184484/৬৫-বছরের-বেশি-বয়সীদের-জন্য-বুস্টার-ডোজ-বাধ্যতামূলক-করছে-ফ্রান্স
৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বুস্টার ডোজ বাধ্যতামূলক করছে ফ্রান্স
ফ্রান্সে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করোনার টিকার বুস্টার ডোজ বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।রেস্তোরাঁয় যেতে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে, এমনকি ট্রেনে চলাচল করতে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে তাদের। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এসব কথা জানান। খবর রয়টার্সের তিনি জানান, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদেরআগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকেবুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। চলতি বছরের আগস্ট থেকে ফ্রান্সের নানা স্থানে ঢুকতে প্রয়োজন পড়ে হেলথ পাস। করোনার টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলেই মেলে এই পাস। ইউরোপজুড়ে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে গত সপ্তাহজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের ওপরে। সেদিক দিয়ে ফ্রান্সের অবস্থান বেশ ভালো উল্লেখ করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, মহামারি এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, টিকা নেওয়ার ছয় মাস পর থেকে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষাব্যবস্থা কমে আসে।এর জের ধরে সংক্রমণের পর জটিলতা বাড়ার ঝুঁকি থাকে। এর সমাধান হচ্ছে টিকার অতিরিক্ত একটি ডোজ দেওয়া। এদিকে দেশটিতে এখনও যারা টিকা নেননি তাদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেনম্যাক্রোঁ।
করোনার টিকা,ফ্রান্স,বুস্টার ডোজ,এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সে রেস্তোরাঁয় যেতে দেখাতে হয় করোনার টিকার প্রমাণপত্ররয়টার্স
international
https://www.dailynayadiganta.com/crime/427698/টঙ্গীতে-বাসায়-ঢুকে-স্কুলছাত্রকে-হত্যা
টঙ্গীতে বাসায় ঢুকে স্কুলছাত্রকে হত্যা
রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীতে আজ বুধবার সকালে ফ্ল্যাট বাসায় ঢুকে মুন্না নামে এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত মুন্না টঙ্গীর গাজীপুরা আবু তালেব মডেল একাডেমীর ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। নিহত মুন্নার মা জানান, তিনি সকাল সাড়ে ৮টায় মুন্নাকে একা বাসায় রেখে ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যান। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে দেখতে পান, মুন্নার নিথর দেহ খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে আছে এবং কণ্ঠনালী কাটা। খবর পেয়ে মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছে। কে বা কারা এবং কি কারণে মুন্নাকে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় গলা কাটা বা মাথা কাটার গুজন ছড়িয়ে পড়ছে। শত শত উৎসুক জনতা বাড়িটির চারপাশে ভিড় করছে। নিহত মুন্নার বাবা রাজধানীর বনানীতে একটি জনশক্তি অফিসে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি পটুয়াখালি জেলার বাউফল থানার দান্ডি গ্রামে।
গলা কাটা,টঙ্গী,স্কুলছাত্রকে হত্যা
নিহত মুন্না
national
https://www.prothomalo.com/opinion/column/‘ঝামেলা’-তাড়াতে-আস্থার-সংকট-সৃষ্টি
'ঝামেলা' তাড়াতে আস্থার সংকট সৃষ্টি
প্রায় সব বিরোধী দলের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ৩৫ দিন আগে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিজ প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এল। কারণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলে আসছিলেন সব দল না চাইলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন ভোটার, রাজনৈতিক দল কিংবা সমগ্র বাংলাদেশকে কী বার্তা দিতে চায়, তা অস্বচ্ছ এবং অস্পষ্ট। ২৩ নভেম্বর ঢাকার একটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার 'ঝামেলা' দূর করতে হবে এবং ইভিএম এ কাজটি করতে পারে (যুগান্তর, অনলাইন সংস্করণ, ২৪ নভেম্বর)। অবশ্য ব্যালট পেপারে ভোট দিলে কী ধরনের 'ঝামেলা' তৈরি হয় এবং সেই 'ঝামেলা' ইভিএম কীভাবে দূর করতে পারে, তা তিনি বলেননি।অতীতে বিভিন্ন দেশে কণ্ঠভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হতো। গোপনীয়তা আনার জন্য ব্যালট পেপারের প্রচলন হয়। তবে যিনি ভোট দিচ্ছেন তিনি কিন্তু দেখতে পারেন তিনি কাকে ভোট দিচ্ছেন। ব্যালট পেপারকে 'ঝামেলা'যুক্ত মনে করলেও ঐতিহাসিকভাবে ব্যালট পেপার স্বচ্ছ। যেমন আমাদের দেশের একজন সাধারণ ভোটার ভোট বলতে বোঝেন ছয় তলের একটি চারকোনা ব্যালট বাক্স, একটি ব্যালট পেপার এবং একটি সিলকে। একজন ভোটার যখন ব্যালট পেপারে সিল লাগান, তখন তিনি তাঁর নিজের চোখে দেখতে পারেন তিনি কোথায় ভোট দিচ্ছেন। তিনি ব্যালট পেপারটিকে ভাঁজ করে এজেন্টদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্সে ফেলেন। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটের অনেক স্বচ্ছতা ইভিএম কেড়ে নেবে। কারণ, ভোটদানের বিষয়টিকে ইভিএম আরও গোপনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে । ইভিএমে একজন ভোটার তাঁর পছন্দমতো বাটন ঠিকই পুশ করবেন কিন্তু ভোটটা আদৌ তাঁর পছন্দের প্রার্থী পেলেন কি না, তা তিনি দেখতে পারবেন না। ইভিএম এই জায়গাটায় বড় অস্বচ্ছ। জার্মান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ইউয়াকিম ভিসনা এবং তাঁর পুত্র উলরিখ ভিসনা এই অস্বচ্ছতার কারণেই জার্মান সাংবিধানিক আদালতে ইভিএম বাতিলের আবেদন করেন। ২০০৯ সালের ৩ মার্চ আদালত 'পাবলিক নেচার' নেই বলে নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। সাংবিধানিক আদালতের বিচারক আন্দ্রিয়াস ফসকুলার মতে, ইভিএম অস্বচ্ছ এবং অন্ধভাবে প্রযুক্তিকে বিশ্বাস করা ছাড়া ইভিএম দিয়ে কীভাবে ভোট গ্রহণ ও গণনা করা হয়, তা একজন সাধারণ ভোটারের বোঝার কোনো ক্ষমতা নেই। সারা পৃথিবীতেই ইভিএম একটি বিতর্কিত বিষয়। যেসব দেশ পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ইভিএম চালু করেছিল, তাদের বেশির ভাগই পরবর্তী সময়ে ইভিএম থেকে সরে এসেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতেও ইভিএমের বিরুদ্ধে জনমত জোরালো হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ কাউন্টিতে ভোটাররা ভোট দেন ব্যালট পেপারে, সে ব্যালট পেপার ইলেকট্রনিক কাউন্টিং মেশিন দিয়ে গণনা করা হয়। এতে একটি সুবিধা হলো, যেহেতু ব্যালট পেপারের অস্তিত্ব আছে, সেহেতু গণনায় ভুল হলে নতুন করে গণনা করা যায়। আমাদের পদ্ধতিটিকে বলা হয় ডিআরই (ডিরেক্টলি রেকর্ডিং ইলেকট্রনিক) সিস্টেম, যা পদ্ধতিগতভাবেই কম নিরাপদ। একজন শিক্ষানবিশ প্রোগ্রামার এর জন্য এমনভাবে কোড লিখতে পারবেন, যাতে একজন ভোটার ভোট দেওয়ার পর ডিসপ্লেতে দেখা যাবে এক রকম, মেমোরি মডিউলে লেখা হবে আরেক রকম এবং ফলাফল তৈরি করবে আরেক রকমভাবে। একটি কম্পিউটারের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য নেই। পৃথিবীর বিখ্যাত সব সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার নির্মাতাদের বছরের পর বছর গবেষণার পরেও কম্পিউটার বাগ, ক্র্যাশ, ভাইরাস, দুরভিসন্ধিমূলক সফটওয়্যার, ডেটা টেম্পারিং থেকে মুক্ত হতে পারেনি। আমাদের ইভিএম নির্মাতারা এসব থেকে মুক্ত যন্ত্র বানাবেন, সে দাবিতে সন্দেহ থাকবেই। ঝুঁকিটা অনেক বেশি, সে তুলনায় প্রাপ্তিটা হবে অতি নগণ্য। যেহেতু পেপার ট্রেইল নেই, কারচুপির অভিযোগ উঠলে তা প্রমাণ করা কার্যত অসম্ভব। ইভিএম টেম্পারিং করা যাবে না-এ ধরনের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না বলে নেদারল্যান্ডস ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থাই বাতিল করে দিয়েছে। ইভিএম সার্বিকভাবে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় কমিয়ে আনতে পারবে না, ইভিএম নির্বাচনী ব্যয় বাড়াবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা এবং মতবিনিময় সভাগুলোতে নির্বাচন কমিশন যে কথাগুলো বলতে চেয়েছে, তার সারমর্ম হলো ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন সহজতর, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হবে। ইভিএমের কারণে নির্বাচন সহজতর হতে পারে, তবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ইভিএম দিতে পারে না। যে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সীমাহীন অভাব রয়েছে, সে দেশে এ ধরনের পরিবর্তন সব দল রাজি হলেও করা উচিত নয়। সাধারণভাবে সবাই বিশ্বাস করে, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এখনো কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি সুষ্ঠু হয়নি। এ রকম একটা রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বিশ্বাসহীনতা আরও বাড়াবে, নির্বাচন আরও বেশি অর্থহীন হয়ে পড়বে। যেখানে নির্বাচনে এ দেশের মানুষের একটি আস্থার স্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এখন আর নেই, সেখানে নির্বাচন কমিশনের সীমিত পরিসরে হলেও ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত অনাস্থা আরও বাড়াবে। এ বছরের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন তিনি ইভিএমের পক্ষে, তবে তিনি তাড়াহুড়ো করে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষে নন। তিনি সীমিত পরিসরে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম চালু করার কথা বলেন। তিনি জানিয়েছিলেন ইভিএম চালু করা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের একটি অংশ (ডেইলি স্টার, অনলাইন সংস্করণ, ৩ সেপ্টেম্বর)। নির্বাচন কমিশনও সীমিত পরিসরে ৬টি সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার আইন পড়াই, তাঁদের কাছে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনটি একটি চমৎকার এবং অসাধারণ উদ্যোগ বলেই মনে হয়েছে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের নামে গণতন্ত্রের একটি অন্যতম ভিত্তিভোট গ্রহণকে বিতর্কিত ইভিএম দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা সমীচীন হবে না। নিকট অতীতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এবং এ মুহূর্তে ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনই নির্বাচন কমিশনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, ব্যালট পেপারের 'ঝামেলা' দূর করা নয়। কাজী মাহফুজুল হক সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ইভিএম,একাদশ সংসদ নির্বাচন,নির্বাচন কমিশন
'ঝামেলা' তাড়াতে আস্থার সংকট সৃষ্টি
opinion
https://www.ajkerpatrika.com/143063/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD
দেবিদ্বারে সারসংকট কৃষকদের বিক্ষোভ
দেবিদ্বারে সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করায় কৃষকেরা বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর বাজারে এ বিক্ষোভ হয়। সার না পেয়ে কৃষকেরা এ বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে।এদিকে এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওয়াহেদপুর বাজারে সারের ডিলার হাজী শাহ আলমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক উন নবী তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ।কৃষক মো. জামাল ভূঁইয়া বলেন, 'সারের ডিলার শাহ আলম সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তিনি লাল ব্যানারে সারের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে বিনা রসিদে বিক্রি করছেন। আমি এক হাজার ৩০ টাকার সার কিনি, তখন রসিদ চাওয়ায় তিনি সারের মূল্য ৮০০ টাকা রেখে ৪৩০ টাকা ফেরত দেন। ওই ঘটনা কৃষকদের জানাজানি হলে সার কিনতে আসা প্রত্যেক কৃষকই রসিদ দাবি করেন। এই পরিস্থিতিতে সার ডিলার গত এক সপ্তাহ ধরে সারসংকট দেখিয়ে সার বিক্রয় করছেন না। পরে স্থানীয়দের চাপে ডিলার সার গুদাম খুললে সেখানে অনেক সার মজুত দেখতে পাই।'অপর কৃষক সুলতান আহমেদ বলেন, ১ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ১ বস্তা দানা সার ২ হাজার টাকায়, ৮০০ টাকার ইউরিয়া সার ১ হাজার টাকায় এবং ৮০০ টাকার ১ বস্তা ডেব সার ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।এদিকে সার ডিলার মো. শাহ আলম বলেন, 'গত মাস পর্যন্ত সার থাকলেও চলতি মাসে সারের সরবরাহ কম ছিল। তা ছাড়া বরাদ্দকৃত সার কৃষকদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। আমরা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে কৃষকদের চাহিদা পূরণে এবং সারসংকট নিরসনে ভর্তুকি দিয়ে সার কিনে সরবরাহ করে আসছি। ভর্তুকি দিয়ে কেনা সার ক্যাশ মেমোতে বিক্রি করা সম্ভব নয়।'এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, 'ফেব্রুয়ারি মাসের সার বিলম্বে উত্তোলন হলে সংকট থাকতে পারে। এসব সার বিএডিসি, বিসিআইসি এবং আমদানিকারক থেকে সরবরাহ করতে হয়। বিএডিসি, বিসিআইসির সার কম সরবরাহ করলেও আমদানিকারকদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ করা যায়। বিভিন্ন এলাকার সার ডিলাররা যে পরিমাণ চাহিদার আবেদন করেন, আমরা সে অনুযায়ী সার সরবরাহ করে থাকি। প্রতি সার ডিলারকে বলা আছে সালু কাপড়ে মূল্য তালিকা লিখে দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখতে এবং ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে সার বিক্রি করতে। কিন্তু তাঁরা তা করছেন না।'উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক-উন-নবী তালুকদার বলেন, সারসংকট সৃষ্টি ও বেশি দামে বিক্রি করায় ডিলার শাহ আলমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সারের সংকট সৃষ্টি ও উচ্চমূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লা,বিক্ষোভ,চট্টগ্রাম বিভাগ,কৃষক,দেবিদ্বার,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,আজকের কুমিল্লা
দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর বাজারে সার না পেয়ে গতকালকৃষকদের বিক্ষোভ।
national
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/449441/কুসংস্কারের-কারণে-জন্মস্থানে-দাফন-করা-হয়নি-পপিকে
কুসংস্কারের কারণে জন্মস্থানে দাফন করা হয়নি পপিকে!
বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে অপমান ভুলতে আত্মহত্যা করে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে পপি বেগম (১৯)। আত্মহননের পর যথারীতি নিজের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা থাকলেও গ্রাম্য মোড়ল ও স্থানীয় কুসংস্কারের কারণে নিজের জন্মস্থানে দাফনের সুযোগ হয়নি। ফলে সিলেট নগরীর মানিকপীর টিলায় তার লাশ দাফন করা হয়। সরেজমিনে জানা গেছে, আত্মহননকারী দাফনের পর ভূত হয়ে স্থানীয়দের জ্বালাতন করবে এ বিশ্বাসে পপির লাশ স্থানীয়ভাবে দাফন করা সম্ভব হয়নি। পুরো গ্রামবাসী এ ব্যাপারে অবগত ঠিকই কিন্তু কেউ মুখ খুলতে সম্পূর্ণ নারাজ। এমনকি নিহত পপির পরিবারও। জানা গেছে, ২০ বছর আগে অত্র গ্রামের জনৈক জয়বান বিবির (৭০) ছেলে আত্মহত্যা করলে তার লাশও এ গ্রামে দাফন না করে পরিবারের লোকজন নগরীর মানিকপীর টিলায় দাফন করে বলে জানান জয়বান বিবি। তিনি বলেন, 'আত্মহত্যাকারী মরার পর ভূত হয়ে স্থানীয়দের ক্ষতি করতে পারে এমন ভয়ে আমার ছেলের লাশ গ্রামে দাফন করা সম্ভব হয়নি।' নিহত পপির ছোট বোন তাহির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিপা বেগম বলেন, ময়নাতদন্তের পরে আমার বোনের লাশ পরিবারের লোকজন মানিকপীর টিলায় দাফন করেন।' গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে পপির লাশ কেন দাফন করা হয়নি এ প্রশ্নের জবাবে রিপা হিমশিম খায়। অন্যদিকে পপির বড় ভাই মনোয়ার হোসেন জানান, দাফন-কাফনের টাকা না থাকায় পারিবারিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই তার বোনকে সিলেটের মানিকপীর টিলায় দাফন করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাব আলী বলেন, 'লোকমুখে পপির আত্মহত্যার খবর পেয়েছি।' তবে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে কেন পপির লাশ দাফন করা সম্ভব হয়নি এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল বলেন, 'এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আজকে আমি শুনেছি। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে এখনও জানানো হয়নি। যদি দাফনের আগে জানানো হতো তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যেত। তবুও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আমি বলেছি, ওই পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।' উল্লেখ্য, পপি বেগম (১৯) গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে তার বোনের বাড়ি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন ১০ অক্টোবর সকালে সে বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে আত্মহত্যা করে। তাকে দাফনের দুদিন পর তার ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগে নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট (সুইসাইড নোট) পায় পরিবার। ওই চিরকুটে গণধর্ষণের কথা উল্লেখ করে পপি। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শুকুর আলী চারজনকে আসামি করে গত ১৪ অক্টোবর রাতে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই নিহতের ভগ্নিপতি ও তেতলী চেরাগী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে ফয়জুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৫ অক্টোবর রাতে মামলার অপর আসামি একই গ্রামের মৃত মতছির আলীর ছেলে জাহেদ (২২) ও গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। তবে মামলার অপর আসামি তেতলী চেরাগী গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে বারিক মিয়া (৩৭) এখনও পলাতক রয়েছেন।
null
কুসংস্কারের কারণে জন্মস্থানে দাফন করা হয়নি পপিকে!
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/07/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%9a%e0%a6%be/
জাপানি মাকে নিয়ে অপপ্রচার, হাইকোর্টের আদেশ বুধবার
জাপানি মা চিকিৎসক নাকানো এরিকোকে নিয়ে অপপ্রচার সংক্রান্ত সব কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরোনার নির্দেশনা চেয়ে আবেদনের আদেশ বুধবার। এছাড়া দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে বেড়ানোর উদ্দেশে বাইরে যাওয়ার অনুমতি বিষয়েও আদেশ দেবেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। এর আগে সোমবার জাপানি মা চিকিৎসক নাকানো এরিকোকে নিয়ে অপপ্রচার সংক্রান্ত সব কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরোনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এছাড়া দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে বেড়ানোর উদ্দেশে বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েও আবেদন করা হয়েছে। দুই শিশুর জাপানি মায়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ আবেদন দায়ের করেন।
অপপ্রচার,জাপানি,হাইকোর্ট
জাপানি তিন শিশু, ইনসেটে মা।
national
https://www.ajkerpatrika.com/30618/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
মহা বিপর্যয়ের পর শিক্ষা
স্কুল-কলেজ খুলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হয়েছে; কিন্তু খোলার তারিখ ঘোষণা হয়নি। সে জন্য হলগুলো খোলেনি। অবর্ণনীয় সব কষ্ট নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা আত্মীয়স্বজনের বাড়ি অথবা অস্থায়ী সাবলেট নিয়ে থাকছে। দুটি বছর কেটে গেল, স্কুলে অটোপাস দেওয়া হলো। সে-ও আকাঙ্ক্ষিত নয়।সারা পৃথিবীতেই শিক্ষার ক্ষেত্রে একটা লন্ডভন্ড অবস্থা। শিক্ষা যে শুধু বইপুস্তক বা ক্লাস কিংবা পরীক্ষা নয়, এবারে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। শিক্ষার্থীর জীবনে একটা বড় সংস্কৃতি। একটা বড় সমাজ যেখানে শিক্ষক থাকেন, ওপরের ক্লাসের, নিচের ক্লাসের ছাত্রছাত্রী থাকে, প্রতিযোগিতা থাকে, বন্ধুত্ব থাকে আবার পছন্দ-অপছন্দ থাকে। এসএসসি পাস করার পর স্কুলজীবনটা শেষ হয়ে যায়, তারপর শুরু হয় কলেজজীবন। এই কলেজজীবনটা বড়ই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বন্ধুবান্ধব আসে। শিক্ষকেরা আসেন। একটা অপরিচিতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দ্রুতই একটা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দুই বছরের এই বন্ধুত্বটা বেশ স্থায়ী হয়। এই সময় কৈশোর আর যৌবনের ক্রান্তিকাল। এ সময়ই ভুলের সময় আবার ভুল শোধরানোরও সময়। স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতাগুলো নতুন করে যাচাই করারও একটা সময়। অনেক অসম্ভব কল্পনা বাসা বাঁধে স্বপ্নে বিভোর হয়ে সঠিক-বেঠিক কিছু একটা করে ফেলতেও ইচ্ছে করে। এ সময়টা পার হলেই বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসাবিজ্ঞান, প্রকৌশল অথবা কোনো পেশাগত শিক্ষার কাল এসে যায়। তখন স্বপ্ন অনেকটাই স্থিত।কিন্তু কেন গুরুত্বপূর্ণ ওই কলেজজীবন? কলেজ, সময়টায় এসে ঠিক বোঝা যায় স্কুলের পড়ালেখাটা ঠিক ছিল কি না? অনেক সময়ই ঠিকঠাক থাকে না। ইংরেজিটা দুর্বল, অঙ্কটা ঠিকমতো বুঝে করা হয়নি। ক্লাসের স্যাররা পড়াননি, কোচিংয়ের স্যার অনেক ছাত্রকে টিউশন দিতে গিয়ে সঠিকভাবে নজরটা দেননি।মনে পড়ে যায় কোনো এক স্যারের কথা। ধরা যাক তিনি দক্ষিণা স্যার, বাংলা পড়াতেন; বিশেষ করে ব্যাকরণ। স্যার কোনো দিনই টিউশনি করতেন না। ক্লাসেই পড়াতেন। না বুঝলে বারবার বোঝাতেন। ছাত্ররাও মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করত। তাই কলেজে এসেও বাংলায় কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। কলেজে সবচেয়ে অসুবিধাটা হচ্ছে ইংরেজি আর অঙ্ক নিয়ে। ইংরেজির স্যার ক্লাসে আসতেন বিলম্বে, সঙ্গে নিয়ে আসতেন নোটবই। মূল বই না পড়িয়ে নোটবই থেকে নোট নিতে বলতেন। তারপর বিকেলে তাঁর কোচিং। সেখানেও নোটবই। বাক্য গঠন থেকে শুরু করে ব্যাকরণের মূল সূত্রগুলোই একটা ফাঁকে পড়ে থাকত। সেই ফাঁক থেকে বেরোনোর কোনো উপায় থাকল না। কলেজে এসে বারবার হোঁচট খেতে হচ্ছে। প্রাথমিকের অঙ্কের স্যাররা বেশ ভালো ছিলেন। কিন্তু মাধ্যমিকে এসে জ্যামিতি আর অ্যালজেব্রা ঠিকমতো পড়া হলো না।সবখানেই স্যার কোচিং করাতেন। কোচিং মানে কিছু সহায়ক বই, মানে নোট বা গাইড বুক। ফাইনাল পরীক্ষা এসে যাচ্ছে আর নাকেমুখে শুরু হয় মুখস্থ। কলেজে এসেই বোঝা গেল অঙ্ক মুখস্থের বিষয় নয়, বোঝার বিষয়। ঠিকমতো বুঝতে পারলে কোনো অসুবিধা নেই। অঙ্ক মজার বিষয়, আনন্দের বিষয়। গণিত নিয়ে খেলা হয় অলিম্পিয়াডে। এত সব দুর্বলতা নিয়ে কলেজে ভর্তি হয়ে দেখা গেল সেখানেও কোচিং! এ দুটি বছরও গেছে কোচিংয়ের মধ্য দিয়ে। কখনো আবার অনলাইনে কোচিং। অভিভাবকদের টাকা গেছে, কিন্তু শিক্ষাটি হয়নি। এবারে কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজের বন্ধুরা তারপরও থাকে। বাছাইটা হয়ে যায় কতজনের সঙ্গে সম্পর্কটা থাকবে। কিন্তু থেকে যায় স্মৃতি। সব স্মৃতিই আবার আনন্দের নয়, বেদনারও। কিন্তু কেউ যদি কালি দিয়ে দুটি বছরের স্মৃতি, অনুভব সব মুছে দেয়, তবে কেমন হবে? দুটি বছর যে গৃহপালিত প্রাণীর মতো সময়টা পার হয়ে গেল, তার কী হবে? অবশ্য দায়িত্বটা একটা ব্যাধির, একটা ভাইরাসের। আমাদের ওপর সেই ভাইরাসটা অনেক দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কী ভাবছি? নাকি অদৃষ্টের হাতে সবকিছু চাপিয়ে দিয়েছি।ভাইরাসকবলিত বিশ্বটা কিছুটা যে অদৃষ্টবাদী হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এর মধ্যে ধর্ম ঢুকে যাবে। নানা ধরনের ধর্মব্যবসায়ীদের সুযোগ বাড়বে এবং ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারটাও এ অবস্থার সুযোগ নেবে, যেমন কিছু ব্যবসায়ী এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে আবার রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি, আমাদের দেশে সুদূরপ্রসারী চিন্তকের () একটা সমস্যা আছে। অতীতে যাঁরা সত্যিকারের চিন্তক, তাঁরা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের জায়গায় আসতে পারেননি। এখন তো সবটাই সরকার এবং আমলারাই একচ্ছত্রভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে। এই যে লাখ লাখ ছেলেমেয়ে দুটি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বঞ্চিত হলো, তাদের বিষয়টায় কী করা প্রয়োজন। কোনো বিশেষ ব্যবস্থা কি করা যেতে পারে, যাতে এ দুটি বছরের শিক্ষাবঞ্চনা কোনোভাবে পূরণ হতে পারে? এবারে একটা বড় শিক্ষা হয়েছে সারা পৃথিবীর মানুষের। মানুষ যে শুধু খেয়েপরে ঘরে বসে বাঁচে না, তার যে মুক্ত আলো-বাতাস প্রয়োজন এবং সর্বোপরি একটা সাংস্কৃতিক জীবন থাকা দরকার, সেই উপলব্ধি হয়েছে। প্রথম থেকেই সামাজিক বিচ্ছিন্নতার ওপর এমনভাবে জোর দেওয়া হয়েছে যে মানুষ তীব্র মানবিক সংকটে থেকেও অন্যের প্রতি মমতা ভুলে গেছে। শিক্ষার্থীদের কি কোনোভাবে একটা সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে আনন্দময় সমাজে নিয়ে আসা যায়?ইতিমধ্যে যদিও শিক্ষা পণ্য হিসেবে একেবারেই আনন্দহীন হয়ে পড়েছে। এখন শিক্ষা মানেই পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, শিক্ষা মানে নম্বর, যেখানে প্রকৃত শিক্ষার কোনো অবকাশ নেই। শিক্ষার্থীরা ভুলতে বসেছে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ, স্নেহশীল শিক্ষক যার স্থান অধিকার করেছেন অর্থগৃধ্নু কোচিং মাস্টার। একটা বড় ধরনের বিপর্যয় হয়ে গেছে শিক্ষার ক্ষেত্রে। কিন্তু নতুন করে ভাবনার কী কোনো অবকাশ আছে?রাজনীতিকেরা সব সময়ই বলে থাকেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ডটা নানাভাবে বেঁকে গেছে। একদা যখন শিক্ষকেরা তেমন মাইনে পেতেন না, সুযোগ-সুবিধা ছিল না, তখন তাঁরা ছিলেন আদর্শবাদী, শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকার ছিল সর্বোচ্চ। এখন শিক্ষকেরা জীবনধারণের জন্য একটা মোটামুটি ভালো বেতন পান। কিন্তু তাতে তাঁদের হয় না। কোচিং সেন্টার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ তাঁদের প্রয়োজন। চোখটা এখন টাকার দিকে, তাই শিক্ষকতার আদর্শ গৌণ হয়ে গেছে। শিক্ষকদের সেই আগের জায়গায় নিয়ে আসা কঠিন। তাই প্রয়োজন নতুন উদ্ভাবনী।উন্নত বিশ্বে শিক্ষকদের কাজের প্রকৃতির পরিবর্তন হয়। নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে তাঁরা যুক্ত হন। ভালো শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রণোদনাও দেওয়া হয়। মানুষ তৈরির কারিগরদের জন্য সমাজে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়াও প্রয়োজন এবং সেটি প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। ছাত্রদের দীর্ঘ সময় পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকারও প্রয়োজন নেই। শ্রেণিকক্ষেই যেন তার লেখাপড়া শেষ হয়, সে জন্য উপযোগী কারিকুলাম তৈরি করাও জরুরি। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিবিধ শিক্ষাব্যবস্থা রোধ করে শিশুকাল থেকে সারা দেশে একই ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করে সব স্কুলই ভালো স্কুল হতে হবে। শিক্ষকদের ওপর প্রশাসনিক অত্যাচারও রোধ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের নানা সৃজনশীল উপায় অবলম্বন করে শ্রেণিকক্ষকে আনন্দময় করতেই হবে। যেহেতু একটা বড় সংকটের পর স্কুল-কলেজ খুলছে, তাই এখনই সময় নতুন করে ভাবার।লেখক: নাট্যব্যক্তিত্ব
মতামত,উপসম্পাদকীয়
মামুনুর রশীদ। অলংকরণ সুজয়
opinion
https://samakal.com/sports/article/210664613/জৈবসুরক্ষাবলয়-ভাঙায়-সাকিবদের-দুখপ্রকাশ
জৈব-সুরক্ষা বলয় ভাঙায় সাকিবদের দুঃখ প্রকাশ
ব্যক্তিগত অনুশীলনে জৈব-সুরক্ষা বলয় ভাঙায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও তার দল মোহামেডান। শুনানিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব স্বীকার করেছে জৈব-সুরক্ষা ভাঙার কথা। তবে এর জন্য কোনো শাস্তি পেতে হয়নি ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে। দুঃখ প্রকাশ করেই বিষয়টি শেষ করেছে তারা। বুধবার এক ভিডিও বার্তায়ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের(সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৫ জুন এক বিবৃতিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অনুশীলনে জৈব-সুরক্ষা বলয় ভাঙার অভিযোগে তদন্ত শুরু করার কথা জানায় ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থা সিসিডিএম।গত মঙ্গলবার এর শুনানিও হয়। ভিডিও বার্তায় কাজী ইনাম জানান, সুরক্ষা বলয় ভাঙার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে মোহামেডান। সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ৮ জুন আমরা বিসিবি ও সিসিডিএম থেকে একটি হিয়ারিংয়ের আয়োজন করেছি। আপনারা অবগত আছেন সিসিডিএমের অধীনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজিত হচ্ছে, সেখানে মোহামেডানের অনুশীলনে জৈব-সরক্ষা বলয় ভেঙেছে। বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস, প্রধান নির্বাহী, সিসিডিএমের সদস্য সচিব ও মোহামেডানের ম্যানেজম্যান্ট ও সাকিব আল হাসান উপস্থিত ছিলেন। অপ্র্যতাশিতভাবে যেটা হয়েছে, এটা নিয়ে তারাও সতর্ক, তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। জৈব-সুরক্ষা বলয় ঠিক রাখার জন্য বিসিবি ও সিসিডিএম থেকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। আশা করছি টুর্নামেন্টটি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারব। ঘটনাটির সূত্রপাত ঘটে গত শুক্রবার। দলের কোনো অনুশীলন না থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে মাঠে যান সাকিব। তিনি যখন ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন, তখনই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারাও ওই ব্যক্তিকে আটকাননি। অথচ টুর্নামেন্ট চলাকালীন স্টেডিয়াম, একাডেমি মাঠ ও ইনডোর- সবগুলোই জৈব-সুরক্ষ বলয়ের মধ্যে পড়ে। তাহলে কীভাবে বাইরের কেউ প্রবেশ করল? এ বিষয় নিয়েই তদন্ত করে মোহামেডানকে সতর্ক করেছে বিসিবি ও সিসিডিএ।
সাকিব আল হাসান,দুঃখ প্রকাশ,মোহামেডান
সাকিব আল হাসান
sports
https://www.prothomalo.com/entertainment/dhallywood/প্রিয়তী-হবেন-‘মাসুদ-রানা’র-রূপা
প্রিয়তী হবেন 'মাসুদ রানা'র রূপা
'মাসুদ রানা' সিনেমায় মাসুদ রানা চরিত্রে 'মেন'স ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম' চ্যাম্পিয়ন রাসেল রানার নাম ঘোষণা করা হয়েছে বেশ আগেই। আগামী ২ মে থেকে ছবিটির শুটিং শুরুর কথা। এখনো ছবিটির গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো চরিত্র চূড়ান্ত হয়নি। তবে ছবির রূপা চরিত্রটি করার নাম শোনা যাচ্ছে মিজ আয়ারল্যান্ডখ্যাত বাংলাদেশি মডেল মাকসুদা আক্তার প্রিয়তীর। ছবিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, ছবির প্রযোজক আবদুল আজিজের সঙ্গে প্রিয়তীর দেখা হয়েছে। গল্প, চরিত্র নিয়ে কথা হয়েছে। চরিত্রটি করতে প্রিয়তী রাজিও আছেন। বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত। প্রিয়তী আয়ারল্যান্ডেই থাকেন। বর্তমান বাংলাদেশে আছেন এই মডেল। 'মাসুদ রানা' ছবিতে কাজের সত্যতা জানতে প্রিয়তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। খানিকটা রহস্য রেখেই এ ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমি যদি কাজ করি, তাহলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমার নাম প্রকাশ করবে। আমার মনে হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলে কাজ করছি কি না, সেটা চূড়ান্ত হওয়া ভালো। তাঁরা সময়মতো ঘোষণা দেবেন। সুতরাং তত দিন অপেক্ষায় থাকি।' বিষয়টি নিয়ে প্রিয়তী রহস্যের মধ্যে রাখলেও ছবির প্রযোজক আবদুল আজিজ খানিকটা খোলসা করেছেন। প্রিয়তীর কাজের ব্যাপারে এই প্রযোজক বলেন, 'ছবিটিতে কাজের বিষয়ে প্রিয়তীর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। গল্প, চরিত্র পছন্দ করেছেন। তিনি আয়ারল্যান্ড থাকেন। শুটিংয়ের সময় সেখান থেকে যাওয়া-আসাসহ মোট পারিশ্রমিক কেমন হবে, সেটি চূড়ান্ত হয়নি এখনো। এ কারণে তাঁর কাজ এখনই চূড়ান্ত বলছি না।' ছবির পরিচালক সৈকত নাসিরও এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তিনি বলেন, 'আমিও শুনেছি। চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে রূপা চরিত্র প্রসঙ্গে এই পরিচালক জানান, 'মাসুদ রানা' ছবির চারটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের একটি রূপা। এটি একটি গোয়েন্দা এজেন্টের চরিত্র।প্রায় ২০ বছর ধরে আয়ারল্যান্ডে বাস করছেন ঢাকার ফার্মগেটে জন্ম নেওয়া প্রিয়তী। জন্মের কয়েক বছরের মধ্যেই বাবাকে হারানোর পর মায়ের চেষ্টায় কিশোরী বয়সে পাড়ি জমান আয়ারল্যান্ডে। সেখানে পড়াশোনা, পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ, মডেলিং, অভিনয়সহ নানা ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। ২০১৪ সালে আয়ারল্যান্ডের সুন্দরীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে মিজ আয়ারল্যান্ড খেতাব পান।
ঢালিউড,চলচ্চিত্র
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তী। ছবি: ফেসবুক
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/36689/%E2%80%98%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E2%80%99-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE
'মহাপ্রসাদ' খেয়ে অচেতন সব নিয়ে গেলেন সাধু বাবা
পোশাক আর চেহারা দেখেই নয়, তাঁর নানা ভেল্কিবাজিতে যেকোনো সাধারণ মানুষের মধ্যে সাধু বাবার 'অলৌকিক ক্ষমতা' সম্পর্কে বিশ্বাস তৈরি হতে পারে। কারণ, চোখের পলকে মাটি তুলে হাতের জাদুতে মাটিকে মিষ্টি তৈরি করে খাওয়ানো অথবা কাগজে ফুঁ দিয়ে আগুন ধরানো, কি না পারেন তিনি! প্রতারক-ভণ্ড বাচ্চু প্রধান (৭০) নামে কথিত সাধু সম্প্রতি মানিকগঞ্জে এক পরিবারের ছয় সদস্যকে প্রসাদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাতের আঁধারে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি কথিত সাধু বাবার। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ সেপ্টেম্বর সত্তরোর্ধ্ব ভণ্ড-প্রতারক বাচ্চু প্রধান নামের কথিত সাধু বাবা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় পঙ্কজ কুমার মণ্ডলের বাসায় রাতের বেলায় ভেল্কিবাজি দেখিয়ে পূজার প্রসাদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে চলে যান। পরের দিন সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও বাসার মানুষের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা স্থানীয় কাউন্সিলর আবু মোহাম্মদ নাহিদকে খবর দেন। ওই কাউন্সিলর প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা সবাইকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ির মালিক পঙ্কজ কুমার মণ্ডল সদর থানায় সাধু বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা বলেন, 'তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে সাধু বাবার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এসআই টুটুল উদ্দিন ও এসআই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানায় অভিযান চালিয়ে ভণ্ড সাধু বাচ্চু প্রধানকে আটক করে। আটকের সময় তাঁর কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয়েছে।'মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক একই কায়দায় ইতিপূর্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষকে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।' প্রতারক বাচ্চু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,ছাপা সংস্করণ,গাজীপুর সংস্করণ,আজকের মানিকগঞ্জ
সাধু সেজে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার কথিত ভণ্ড সাধু বাচ্চু
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2016/07/13/156558
সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার প্রতিশ্রুতি তুরস্কের
সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তুরস্কের নতুন প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলিদিরিম। তিনি বলেছেন, সিরিয়ার পাশাপাশি ইরাকের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নত করার পরিকল্পনা নিয়েছে তার সরকারের। আজ (বুধবার) টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইলদিরিম বলেন, 'আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন।' গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ইলদিরিম বার বার "বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানো এবং শত্রুর সংখ্যা কমানোর" কথা বলে আসছেন। তার এ বক্তব্যের ভেতর দিয়ে এ কথা পরিষ্কার হচ্ছে যে, তুরস্ক অতীতের নীতি থেকে দৃশ্যত সরে আসছে। ইলদিরিমের এ বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গেও আবার উষ্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথে পা বাড়াচ্ছে আংকারা। রাশিয়া হচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের একনিষ্ঠ সমর্থক। কিন্তু চলমান সংকট শুরুর প্রথম থেকেই তুরস্ক সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং সিরিয়ায় অভিযান চালানোর সময় রাশিয়ার একটি বোমারু বিমান ভূপাতিত করেছিল। বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুলাই ২০১৬/শরীফ
null
প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলিদিরিম
international
https://www.ajkerpatrika.com/2477/%E2%80%98%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E2%80%99-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0
'টানাটানির সংসার' বাফুফের
ঢাকা: বিপিএল ফুটবলের দ্বিতীয় লেগ শুরু হবে ৩০ এপ্রিল। বাফুফে অবশ্য এখন পর্যন্ত সূচি ঠিক করতে পারেনি। মাঠে নামার আগে দলগুলোকে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়ার কথাও বলছে ফেডারেশন। যদিও বাফুফের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদির বক্তব্য, আর্থিক সংকট আছে তাঁদের!১৩ দলের প্রিমিয়ার লিগ দ্বিতীয় পর্বের সূচি আটকে আছে আবাহনী লিমিটেডের এএফসি কাপ মিশন নিয়ে। মালদ্বীপের ঈগলসের বিপক্ষে এএফসি কাপের প্রাক-বাছাইপর্বের ম্যাচটি ঢাকায় আয়োজন করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাফুফে। ৫, ৬ কিংবা ৭মে ধরা হয়েছে সম্ভাব্য তারিখ। ঢাকায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হলে এই তিন দিনে খেলা স্থগিত রাখতে হতে পারে। এখনও তাই সূচি তৈরি করতে পারেনি বাফুফে।৩০ এপ্রিল লিগ শুরু নিয়ে আপত্তি ছিল ব্রাদার্স, মুক্তিযোদ্ধা, আরামবাগের মতো তুলনামূলক কম শক্তির দলগুলোর। তাদের সমস্যার কথা ভাবনায় রেখে ম্যাচের সূচি সমন্বয় করা হয়েছে করা হবে বলে জানিয়েছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মূর্শেদি। প্রয়োজনে ক্লাবগুলোকে যাতায়াত সুবিধাও দেওয়া হবে। কাল ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন সাবেক এই ফুটবলার।দ্বিতীয় পর্বেও লিগের পৃষ্ঠপোষক নিয়ে ঝুলে আছে বাফুফে। প্রশ্ন আছে ক্লাবগুলোর 'অংশগ্রহণমূলক অর্থ' নিয়েও। এ প্রসঙ্গে সালাম মূর্শেদি বলছেন, 'টানাটানির সংসার, সবসময়ই টানাটানির মধ্যে ছিলাম।' ফুটবলের পাশে থাকায় সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি, 'আপনারা সংবাদমাধ্যম কর্মীরা আসলেই ফুটবলকে ভালবাসেন। ক্লাবগুলো নানাভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। তবু আপনারা তাদের কথা বলেন। আমরা চেষ্টা করব অন্তত ক্লাবের হাতে একটা চেক তুলে দিতে। একটা কথা সবাইকে বুঝতে হবে এখন কোভিড মহামারি। সব কিছু চাইলেও আমরা মন মতো করতে পারব না।'
ফুটবল,বিপিএল,বাফুফে
নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে বসেছিলেন বাফুফে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সালাম মূর্শেদি। বাফুফে
sports
https://www.prothomalo.com/politics/সাংসদপুত্রদের-দ্বন্দ্বে-আ.লীগে-উত্তাপ
সাংসদপুত্রদের দ্বন্দ্বে আ.লীগে উত্তাপ
কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-২ আসনের সাংসদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার রাজনীতি সামলেছেন তাঁর বড় ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী। আর এখন প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাচ্ছে ছোট ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরীকে, যা মানতে পারছেন না আয়মন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সাজেদার শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও রাজনৈতিক উত্তরাধিকারদের এই দ্বন্দ্ব উত্তাপ ছড়াচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। তবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে এলাকায় সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করেছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। আওয়ামী লীগরাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের রাজনীতিতে এবং আন্দোলন-সংগ্রামে যে কজন নারী রয়েছেন, তাঁদের একজন সাজেদা চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধে এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর জেল-জুলুম সহ্য করে আওয়ামী লীগের পতাকা উড্ডীন রেখেছিলেন সাজেদা চৌধুরী। কিন্তু এলাকার রাজনীতিতে সাজেদা যাঁদের কাছে টেনে দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁরাই সাজেদাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন এবং নিজেদের আখের গোছাতে তৎপর হন। এ কারণে 'সাজেদা আওয়ামী লীগের কেমন প্রার্থী?' আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীকে প্রশ্ন করা হলে তাঁদের উত্তর দাঁড়ায়, 'সাজেদা ভালো, তবে কাছের মানুষটি ভালো না।' কিছুদিন আগ পর্যন্ত (২১ মার্চ) বড় ছেলে আয়মন আকবর ওরফে বাবলু চৌধুরী ছিলেন সাজেদার সবচেয়ে কাছের মানুষ। তিনি দলের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি দেখছেন ছোট ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী। তিনি প্রবীণ নেতা-কর্মীদের আবারও দলে সক্রিয় করছেন। এ নিয়ে দুই ছেলের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন চরমে। আয়মনের দাবি, মা তাঁকে নিয়েই এলাকায় যেতে চান। তিনিই মায়ের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী। গত ২১ মার্চের পর আয়মন আকবর এলাকায় এসেছেন বলে শোনা যায়নি। তবে শাহদাব আকবর মাঝেমধ্যেই আসছেন, কখনো মায়ের সঙ্গে, আবার কখনো একা। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন। হালে সাজেদার দুই ছেলের দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ সহিংস আকারে এলাকায় আওয়ামী রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে। আয়মন আকবরের সমর্থক বাদলের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে শাহদাবের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ চলতি মাসের শুরুতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আয়মন আকবর বলেন, 'সংসদ নির্বাচননিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। মাকে (সাজেদা) ছোট ভাই আটকে রেখেছেন। আমি আমার মাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।' শাহদাব আকবর বলেন, 'পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মায়ের রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। আমার প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচনের সময় মা ঘরে থাকবেন, আমরা তাঁর কর্মীদের নিয়ে গ্রামগঞ্জে ঘুরে ভোট সংগ্রহ করে সাজেদা চৌধুরীকে নির্বাচিত করব।' সাজেদা চৌধুরীর বাইরে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আতমা হালিম। ২০১৩ সালে তাঁর গাড়িবহর সালথায় ঢোকার পথে সাজেদার সমর্থকদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। আতমা হালিম বলেন, 'আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। দীর্ঘদিন ধরে আমি এ লক্ষ্যে এলাকায় গণসংযোগ করে আসছি। হামলা হলেও আমি লক্ষ্য থেকে সরে যাইনি।' দলের মনোনয়ন চান সাজেদার সাবেক এপিএস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক জামাল হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী ওরফে জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা কাজী দেলোয়ার হোসেন, জেলা কৃষক লীগের নেতা লায়েকুজ্জামান। এলাকায় নিজেদের মতো করে গণসংযোগ চালালেও এই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলছেন, যদি সাজেদা চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন, তাহলে তাঁরা সভানেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবেন। বিএনপি২০০৮ সালের নির্বাচনে সাজেদা চৌধুরী ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামা ওবায়েদ পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৭২৬ ভোট। সাজেদার রাজনৈতিক জীবন, ভাবমূর্তি, ব্যক্তিত্ব কোনো কিছুর কাছেই তুল্য ছিলেন না শামা ওবায়েদ। দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে শামা যে ভোট পেয়েছিলেন, তা তাঁর ব্যক্তি ইমেজের জন্য নয়, প্রয়াত বাবার ইমেজে। তবে গত নয় বছরে অনেক পরিপক্ব শামা। বিএনপিরচেয়ারপারসনের সুনজরে পড়ায় তাঁর থেকে বয়সী ও প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাদের ডিঙিয়ে গত সম্মেলনে শামাকে ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় মাঝেমধ্যেই ছোট পরিসরে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শহীদুল ইসলাম ওরফে বাবুলের নামও শোনা যাচ্ছে। এর আগে তিনি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। শামা ওবায়েদ বলেন, 'আমরা দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমি ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলাম। এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি, নিজের মনোনয়নের কথা ভাবছি না। আমি মনে করি, দলই আমার কাজের মূল্যায়ন করবে।' শহীদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন। তবে দল যাঁকে মনোনয়ন দেয়, তিনি তাঁর পক্ষেই কাজ করবেন। অন্যান্য দলফরিদপুর-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলা জাকের পার্টির সভাপতি মসিউর রহমান ওরফে যাদু মিয়া। তিনি গণসংযোগ করছেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ফরিদপুর শাখার সভাপতি রফিকুজ্জামান জানান, সিপিবির প্রার্থী হিসেবে নগরকান্দা উপজেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। আর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. ইয়াহিয়া বলেন, দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী শফিকুর রহমান ওরফে স্বপন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিয়া আলমগীর হোসেনের নামের প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
,একাদশ সংসদ নির্বাচন,বিএনপি,রাজনীতি,নির্বাচন,ফরিদপুর,আওয়ামী লীগ
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শামা ওবায়েদ, অাতমা হালিম ও জামাল হোসেন
politics
https://samakal.com/bangladesh/article/19081836/মওদুদের-বিরুদ্ধে-দুদকের-মামলা-চলবে
ব্যারিস্টার মওদুদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলার কার্যক্রম স্থগিত করতে করা আপিল খারিজের আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনও খারিজ হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগরোববার রিভিউ আবেদনটি খারিজ করেন। ব্যারিস্টার মওদুদের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায়বিচারিক আদালতে এই মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রোববার আদালতে তিনিই দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার মওদুদের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। পরেআইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, ব্যারিস্টার মওদুদের বিরুদ্ধে দুদকের এই মামলা বর্তমানে ঢাকার একটি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। এরই মধ্যে অনেক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, হাইকোর্টে ট্যাক্স সংক্রান্ত মামলা চলমান থাকার কথা বলে ব্যারিস্টার মওদুদ বিচারিক আদালতে এই মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন করেছিলেন। গত ৪ মার্চ বিচারিক আদালত ওই আবেদন নাকচ করলে ব্যারিস্টার মওদুদ হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ৮ এপ্রিল ওই আপিলও খারিজ হয়ে যায়। এরপর তিনি আপিল বিভাগে যান। তবে আপিল বিভাগেও আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। পরে ব্যারিস্টার মওদুদ আপিল বিভাগের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে সেটাও রোববার খারিজ হয়ে যায়।এর ফলে বিচারিক আদালতে দুদকের মামলার কার্যক্রম চলতে আর কোনো বাধা রইল না। প্রসঙ্গত, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় এ মামলা করে দুদক। গত বছরের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়।
ব্যারিস্টার মওদুদ,মওদুদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা,দুর্নীতির মামলা
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/11/10/710335
পিকে হালদারের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, বিভিন্ন ব্যাংকে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেন এবং ১ কোটি ১৭ লাখ ডলার কানাডায় পাচারের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জানা গেছে, বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিনের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। শিগগিরই বিচারিক আদালতে এ চার্জশিট পেশ করবে সংস্থাটি।
পিকে হালদার
পিকে হালদার
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/02/02/%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%93-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7/
টিকাদান কেন্দ্রেও নিবন্ধন করা যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের টিকার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারলে টিকাদান কেন্দ্রেও সেই ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, 'করোনাভাইরাসের টিকার জন্য সবাই আমাদের অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। অ্যাপে না পারলে সাহায্য নিন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সাহায্য নিতে পারেন। টিকাদান কেন্দ্রে এলেও আপনি ফরম ফিলাপ করে দিলে তারাই নিবন্ধন করে দেবে। কাজেই সব ব্যবস্থা আছে। আপনি টিকা নিন, সুস্থ থাকুন, দেশকে সুস্থ রাখুন।' মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাহিদ মালেক জানান, এরইমধ্যে সব জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। উপজেলা পর্যায়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। ৭ তারিখে সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনি বলেন, 'সব টিকারই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। অক্সফোর্ডের টিকারও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তবে এই টিকা অনেক নিরাপদ।' সবাইকে টিকা নিতে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'শুধু শহর নয়, একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের মুরুব্বিরা, মা-বোনেরা আছেন। তাদের আহ্বান করবো আমাদের জেলা-উপজেলায় এসে টিকা নেওয়ার জন্য। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান করবো, আপনারা আপনাদের এলাকার মানুষকে টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন টিকা নিতে।' সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই হার ধরে রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এখন শনাক্তের হার ৩ শতাংশের ঘরে আছে। আমরা একটা ভালো পর্যায়ে আছি। এটা ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রাখতে হলে কিছু কাজও আমাদের করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে নিয়মিত।'
null
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ।
national
https://www.ajkerpatrika.com/62896/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%A8
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে নয়জন
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ নভেম্বর। গত রোববার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে ৯ ইউপিতে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই শেষে যদি তাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয় তাহলে তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। ২১ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।যাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন করেরহাট ইউপিতে মো. এনায়েত হোসেন নয়ন, ধুমে এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, ওচমানপুরে মফিজুল হক, ইছাখালীতে মো. মোস্তফা, কাটাছরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন, মঘাদিয়ায় জাহাঙ্গীর হোসাইন, মায়ানীতে কবির আহমদ নিজামী, হাইতকান্দিতে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাহেরখালীতে কামরুল হায়দার চৌধুরী। এঁরা সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।এদিকে মিরসরাইয়ের বাকি সাত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ দুজন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী।এদিকে হিঙ্গুলী ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন সাবেক চেয়ারম্যান ইফতেখার উদ্দিন ভূঁইয়া, জোরারগঞ্জ ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, দুর্গাপুরে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী রাজিব, মিরসরাই সদর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাইফুল্লাহ দিদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার ফারুক ও মো. আজম, মিঠানালায় সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আবু তাহের ভূঁইয়া ও শেখ মাঈনুল হাসান রাজু, খইয়াছড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে মো. আলা উদ্দিন।মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রোববার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন পর্যন্ত ১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে১২৭ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৬০২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২১ অক্টোবর। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আপিলের নিষ্পত্তি হবে ২৪ ও ২৫ অক্টোবর। প্রার্থীরা ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মিরসরাই,চট্টগ্রাম ,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,চট্টগ্রাম কক্সবাজার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে নয়জন
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2018/11/27/379319
তারেক রহমানের একক কর্তৃত্ববাদ নিয়ে মন্তব্য করে ফের আলোচনায় ডা. জাফরুল্লাহ
ফোনালাপে তারেক রহমানের একক কর্তৃত্ববাদের উপর মন্তব্য করে আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ। তারেক সাহেব লন্ডন থেকে বইসা বইসা হুকুমনামা দেবেন, তোমরা এইটা কর না... এইটা ঠিক না বলে ফোনালাপে মন্তব্য করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ। পিরোজুপর-১ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সারোয়ারের সঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহর একটা ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যেখানে একথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিএনপি'র চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ক্লার্ক দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের বিষয়টিও উঠে এসেছে এ ফোনালাপে। নিচে ফোনালাপের কথাগুলো তুলে ধরা হলো। ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ স্যার আসসালামু আলাইকুম, ব্যারিস্টার সারোয়ার বলছি। ডা. জাফরুল্লাহ: অ্যা, কে? ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ স্যার, ব্যারিস্টার সরোয়ার, পিরোজুপর-১। ডা. জাফরুল্লাহঃ জি বলেন, হ্যা হ্যা। ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ স্যার ঐ যে টিটু ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম, হোটেল লেকশোরে। ডা. জাফরুল্লাহঃ হ্যা হ্যা ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ স্যার, কালকে প্রথমে একটু ঝামেলা হইছিলো, পরে ঠিক হয়ে গেছে। রাত ১১টার সময়ে নমিনেশন পেপার পেয়েছি। ডা. জাফরুল্লাহঃ অ্যা, পরে হইছে নমিনেশন? ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ হ্যা হ্যা, পরে। প্রথমে একটু ঝামেলা করছিল, প্রথম স্যার। ডাঃ জাফরুল্লাহঃ তাই? কেন? ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ ঝামেলা করছিল, ওইখানে আমি জানি আমার সিদ্ধান্ত হইয়া আছে। কিন্তু তারা করছে কি, ওইখানে ওই ভিতর থেকে কোনো ক্লার্ককে বা কেউ ম্যানুপুলেট হইয়া, ভিতরে এরকম আগেও হইছে, ওইখানে জেপি লেইখা রাখছে, জাতীয় পার্টি লেইখা রাখছে। পরে যখন মহাসচিবকে বললাম। পরে কারেকশন করে দিছে। এরকম ম্যানুপুলেশন আরও হচ্ছে। এদিকে খেয়াল রাইখেন। স্যার দোয়া কইরেন। ডা. জাফরুল্লাহঃ একদিকে ম্যানুপুলেশন হচ্ছে আবার তারা (চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের কর্মচারীরা) ওভার ওয়াচ... কোনো কিছু সিস্টেমেট্যাকালি করেনাই তো। ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ স্যার এক্সাক্টলি। এই যে, যখন দলীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তারেক সাহেব এপ্রোভড করেছে। ? কীভাবে একটা ক্লার্ক দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে? ডা. জাফরুল্লাহঃ না, না, এইটাও খারাপ। তারেক সাহেব ওইখান থেকে বইসা বইসা হুকুমনামা দেবেন, তোমরা এইটা কর না... এইটা ঠিক না। এখানে নিজেদের কাছে কিছু ক্ষমতা ছাড়তে হবে। এটা না হলে তো... নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় না আসলে। এখানে অনেকে আছে নমিনেশন দিলে লাভ হতো। পুলিশের কাউকে নমিনেশন দেওয়া হয় নাই। দিলে লাভ হতো। অথচ আওয়ামী লীগ দিছে। ব্যারিস্টার সারোয়ারঃ স্যার, দোয়া কইরেন। আমি নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে যাচ্ছি পিরোজপুর। অন দ্য ওয়ে টু পিরোজপুর স্যার, দোয়া কইরেন স্যার। ডা. জাফরুল্লাহঃ গুড লাক।
null
ডা. জাফরুল্লাহ
national
https://www.ajkerpatrika.com/188465/%E0%A6%AC%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF
বড়াল ব্রিজে মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল দুটি ট্রেন
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অল্পের জন্য মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে যাত্রীবাহী দুটি ট্রেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের বড়াল ব্রিজ রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।ট্রেনের যাত্রী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে পঞ্চগড়গামী আন্তনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বড়াল ব্রিজ স্টেশনসংলগ্ন রেলব্রিজ অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে একই লাইনে আসছিল ঢাকাগামী আন্তনগর ধূমকেতু ট্রেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুতযানের চালক ট্রেনটি রেলব্রিজের ওপর দ্রুত থামিয়ে দেন। ওই সময় ধূমকেতু ট্রেনটি ওই রেলব্রিজের পশ্চিম পাশে কয়েক শ গজ দূরে ছিল। পরে ধূমকেতু ট্রেনটি পাশের ভাঙ্গুড়া স্টেশনে গিয়ে ১ নম্বর লাইনে অবস্থান নেয় এবং দ্রুতযান ট্রেনটি ২ নম্বর লাইন দিয়ে ছেড়ে যায়।ফলে ট্রেন দুটি মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনায় আধা ঘণ্টা বিলম্বে ধূমকেতু ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ওই সময় উভয় ট্রেনের যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।প্রত্যক্ষদর্শী ধূমকেতু ট্রেনের যাত্রী রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি ধূমকেতু ট্রেনের অপেক্ষায় বড়াল ব্রিজ স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাত ১টার দিকে আন্তনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ও ধূমকেতু ট্রেন দুটি একই লাইনে মুখোমুখি হয়। এ সময় দ্রুতযানের চালক বড়াল ব্রিজের ওপর ট্রেন থামিয়ে দেন এবং ধূমকেতু ট্রেনটি পেছনের দিকে গিয়ে ভাঙ্গুড়া স্টেশনে দাঁড়ায়।বড়াল ব্রিজের স্টেশন মাস্টার মামুন হোসেন বলেন, ভাঙ্গুড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে সিগন্যাল দেওয়া হয়। বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কম্পিউটারে সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকে থাকে। ২০ মিনিট পর কম্পিউটার চালু করা গেলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।দুর্ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে স্টেশন মাস্টার বলেন, 'যদি এমন কিছু ঘটত, তাহলে কর্তৃপক্ষ কি আমাকে এখনো এখানে রাখতেন?'ট্রেন দুর্ঘটনা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ:আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে পৃথক দুটি ঘটনায় নিহত ২সরিষাবাড়ীতে ট্রেনের ধাক্কায় ২ পল্লীবিদ্যুৎ কর্মচারী নিহতদুই ট্রেনের সংঘর্ষে তিন বগি ক্ষতিগ্রস্তমিটারগেজের দুটি কোচ লাইনচ্যুত৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল
পাবনা,সংঘর্ষ,রাজশাহী বিভাগ,ভাঙ্গুড়া
মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে যাত্রীবাহী দুটি ট্রেন।
national
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/01/30/1643531429213
সাফারি পার্কে জানুয়ারি মাসে ১১ জেব্রার মৃত্যু
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অসুস্থ আরেকটি জেব্রাও মারা গেছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে জেব্রাটি মারা গেছে বলে ঢাকা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান। এ নিয়ে এ বছরের জানুয়ারি মাসে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রার মৃত্যু হলো। আরও পড়ুন-সাফারি পার্কে আরও এক জেব্রার মৃত্যু সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবীর জানান, শনিবার সকালে দুটি জেব্রা অসুস্থ হয়ে পরে। তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ জেব্রা দুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারপরও শনিবার সকালে একটি ও সন্ধ্যায় দ্বিতীয় জেব্রাটি মারা যায়। জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রেপ্টোকক্কাস, ইকোলাই, ক্লোসট্রিডিয়াম, সালমোনেলা ও প্যাসটুরেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ৫টি এবং নিজেদের মধ্যে মারামারি করে আরও চারটি জেব্রা মারা গেছে। পরে, গত ২৫ জানুয়ারি গঠিত ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড পার্কে উপস্থিত হয়ে জেব্রার মৃত্যু রোধে করণীয় ও কারণ উদঘাটনে কাজ শুরু করে। এ সময় বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য শহীদুল্লাহ জেব্রা মৃত্যুর কারণ ও দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন। আরও পড়ুন-মারামারি ও সংক্রামক অসুখে মারা যায় সাফারি পার্কের জেব্রাগুলো পরামর্শগুলো হচ্ছে- জেব্রাদের বসবাসের জায়গার মাটিতে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে, পার্কের জলাধারের পানি পরিবর্তন করতে হবে, জেব্রাগুলোকে টিকার আওতায় আনতে হবে, খাবার হিসেবে পরিপক্ব ঘাসের ব্যবস্থা করতে হবে, শুকনো খাবার ফাঙ্গাসমুক্ত করে পরিবেশন করতে হবে, ঘাস পানিতে ভালো করে ধুয়ে এবং কেটে খাবারের নির্দিষ্ট পাত্রে পরিবেশন করতে হবে, পার্কের অভ্যন্তরে পতিত জমিতেই ঘাস উৎপাদন করে পার্কের প্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে, জেব্রাদের বেষ্টনীতে বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, অতিরিক্ত নিরাপত্তাকমীর্র ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ পুরো বেষ্টনীতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। ছয় সদস্য বিশিষ্ট এ বোর্ডের মধ্যে ছিলেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক ড. আবু হাদী নুর আলী খান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকার কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সাবেক প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার ও ঢাকা চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এবিএম শহীদ উল্লাহ, গাজীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম উকিল উদ্দিন এবং সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন।
জেব্রা,সাফারি পার্ক,গাজীপুর,বন্যপ্রাণী
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এক মাসে ১১টি জেব্রার মৃত্যু হয়েছে
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/03/30/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a6%b8-%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%82%e0%a6%95-%e0%a6%ab%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0/
সার্ক পিপলস লিংক ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত
সার্ক অর্ন্তভুক্ত বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া ও নেপাল) দেশ সূমহের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ও ব্যবসা বানিজ্য এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, শিক্ষা গবেষনা ক্ষেত্রে নিবিড় লেনদেন আরো বাড়ছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সার্ক পিপলস লিংক ফোরাম কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্বাধিনতার সুবর্ন জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভায় আলোচকরা এসব বলেন। সভায় আলোচকরা বলেন, বিবিআইএন এর মধ্যে চলাচলের জন্য বাংলাদেশের বুড়িমারি থেকে নেপালের কাকড়ভিটা এবং বুড়িমারি থেকে ভুটানের ফুন্টসেলিং পর্যন্ত কোরিডোর প্রদানের জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়। এর মাধ্যমে যাতায়াত, ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা সংস্কৃতির লেনদেন অবাধ ও সহজ হবে। এই কোরিডোরের মাধ্যমে নেপাল ও ভুটান সহজেই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যেতে পারবে। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর প্রস্তাব অনুয়ায়ি বাংলাদেশের সৈয়দপুর থেকে নেপালের বিরাট নগরের মধ্যে বিমান যোগাযোগ দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানানো হয়। ফোরাম সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক কল্পনা রায়, সহ সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নান, সদস্য নুরুন নাহার, সুভাস চন্দ্র হেমব্রম, আরজুমান লিসা প্রমুখ। সভার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহিদদের প্রতি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ইভূ ইভূ
ফোরামের সভা,সার্ক অর্ন্তভুক্ত বিবিআইএন,সার্ক পিপলস লিংক
সার্ক পিপলস লিংক ফোরাম কার্যালয়ে আলোচনা সভা
national
https://www.bd-pratidin.com/campus-online/2021/11/03/708115
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে এই কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী এই কার্যক্রম শেষ হবে। কার্যক্রম শুরুর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম, সহকারী প্রক্টর মো. মিজানুর রহমান, ড. মো. মাহফুজ আলম, মো. সানবিন ইসলাম, মো. মাজেদুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. তানজীন হোসেন, ডা. শাম্মী আরা নিপা, নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানোয়ার পারভেজ লিটন, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সৈয়দ বাহাউদ্দীনসহ বিসিসির কর্মকর্তা ও রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে সার্বিক সহোযোগিতা করায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। বিডি প্রতিদিন/এমআই
বরিশাল, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থী, ভ্যাকসিন, প্রদান
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু।
education-career
https://www.prothomalo.com/politics/মন্ত্রণালয়ের-নাম-কাজের-সঙ্গে-সংগতিপূর্ণ-হোক-হাছান-মাহমুদ
মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হোক: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'প্রকৃতপক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্য প্রদান বা সরকারের কাজগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরা ছাড়াও সম্প্রচারের কাজটিও করে আসছে। তাই আমরা চাইছিলাম, এই মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হোক। এ জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়ে এখন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করা হয়েছে।' সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ রাখতে পরিবর্তন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে। সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রুলস অব বিজনেসের এই সংশোধন আনেন। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, 'আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে লিখেছিলাম। মন্ত্রিপরিষদ সেটি পর্যালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালে রাষ্ট্রপতি সেটি অনুমোদন দেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হয়ে গেজেট হয়েছে। এ জন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।' মন্ত্রণালয়ের নামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকার। যে সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মো. তাজউদ্দীন আহমদ, সেই সরকারের সময়ে এই মন্ত্রণালয়ের নাম ছিল তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়।' সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, 'এই মুজিব বর্ষে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ফাইনাল রিকমেন্ডেশন দিয়েছে জাতিসংঘ। বড়ই তাজ্জবের বিষয়, জাতির জীবনে এত বড় একটা সফলতা এল, বিএনপি এটি নিয়ে অভিনন্দন দিল না। তারা সরকারকে অভিনন্দন দেওয়া তো দূরের কথা, এই জাতিকে অভিনন্দন দেওয়া, সেটি দিতেও রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে।' যারা ব্যর্থ ছিল, তারা সব সময় সবকিছুতে শুধু ব্যর্থতা দেখে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন দেশ পরিচালনা করেছে, তারা তো চরমভাবে ব্যর্থ ছিল। কিন্তু দেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানানোর ব্যাপারে এবং সরকারের সঙ্গে হাওয়া ভবন খুলে সমান্তরাল একটি সরকার পরিচালনায় সফল ছিল। দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য বানানোর ক্ষেত্রে তারা সফল ছিল। ৫০০ জায়গায় একযোগে বোমা হামলা, একুশে আগস্টে বোমা হামলা, আদালতের মধ্যে বোমা হামলা, বিচারককে বোমা মেরে হত্যা-এগুলোর ব্যাপারে তারা খুব সফল ছিল। বাকি সব ব্যাপারে তারা ছিল ব্যর্থ। এ জন্য তারা সবকিছুতে ব্যর্থতা দেখার চেষ্টা করে।'হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি না দেখলেও পৃথিবী কিন্তু দেখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সফলতার জন্য প্রশংসা করেছে, জাতিসংঘ প্রশংসা করেছে। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি এখন যেটি করার চেষ্টা করছে, সেটি হচ্ছে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়েছি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমাদের এ ব্যাপারে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু ভারতের সংবিধান অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগে। সুতরাং এখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই, একাগ্রতা আছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলে সেটি হবে। এটি বিএনপি বুঝেও না বোঝার ভান করে। অপ্রাসঙ্গিক হলেও এটিকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করছে। আসলে বিএনপি কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না, খড়কুটো ধরেই ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে।' খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রথমত খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি, আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইনগতভাবে তাঁর শাস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। পরে আবার ছয় মাসের জন্য এবং তৃতীয় দফা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। আমি মনে করি, এতে সরকারকে, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির একটা অভিনন্দন দেওয়া প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিকটা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে তাঁর শাস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু বিএনপি সেই ধন্যবাদ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, ধন্যবাদ দেওয়ার সংস্কৃতিটা তারা লালন করে না।'
সরকার,রাজধানী,বাংলাদেশ
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাছান মাহমুদ। এ সময় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান (ডানে) ও সচিব খাজা মিয়া উপস্থিত ছিলেন
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/01/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%ab%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%ac/
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হচ্ছেন এমবাপ্পে!
চড়া চুক্তিতে পিএসজি ছেড়ে লস ব্লাঙ্কোদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইতোমধ্যে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছেন বলে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানায়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী গ্রীষ্মে ফ্রি ট্রান্সফারে সেখানে পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড। তবে এর জন্য বছরে ৫০ মিলিয়ন ইউরো গুনতে হবে রিয়ালকে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে চুক্তিতে আছেন এমবাপ্পে। চুক্তি নবায়নের জন্য তাকে প্রস্তাবও দিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি। তবে রিয়ালে যাওয়ার জন্য তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ডের মতে, এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রতি মৌসুমে ৫০ মিলিয়ন ইউরো পাবেন এমবাপ্পে। এমনটি হলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার বনে যাবেন তিনি। মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। তবে রিয়াল ও পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচ শেষ না হওয়ার আগে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে না তারা। বিল্ডের দাবি, এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর সব আশা ছেড়ে দিয়েছে লিগ ওয়ান ক্লাবটি। এরই মধ্যে তাদের একাধিক প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে। যদিও ২৩ বছর বয়সী ফুটবলার একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এখন পিএসজির হয়ে শিরোপা জয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি।
এমবাপ্পে,পিএসজি,ফুটবলার
কিলিয়ান এমবাপ্পে
sports
https://www.prothomalo.com/entertainment/hollywood/দুটি-নয়-নিকোলের-চাই-১০-সন্তান
দুটি নয়, নিকোলের চাই ১০ সন্তান
দুটি সন্তানই যথেষ্ট-এই মন্ত্রে বিশ্বাসী নন নিকোল কিডম্যান। কম করে হলেও তাঁর চাই ১০টা বাচ্চা। মারি ক্লের অস্ট্রেলিয়া সাময়িকীর ২৫ বছর পূর্তি সংখ্যায় প্রচ্ছদ হয়েছেন কিডম্যান। সেখানেই জানালেন তাঁর এই ইচ্ছার কথা। বলেন, 'ইশ্, আমার যদি আরও বাচ্চা হতো! কিন্তু আমাকে সেই সুযোগই দেওয়া হয়নি। অন্তত ১০টি বাচ্চা থাকলে আমার ভালো লাগত।' অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রীর বাস্তবে কয়টি বাচ্চা? সাবেক স্বামী টম ক্রুজের সঙ্গে তাঁর আছে দুই সন্তান (দত্তক) এবং বর্তমান স্বামী কিথ আরবানের সঙ্গে আছে আরও দুই সন্তান। ১০ সন্তানের জায়গায় কিনা মোটে ৪ জন! অবশ্য ভাতিজা, ভাতিজি ও ধর্ম সন্তান দিয়ে তাঁর এই আক্ষেপ অনেকটাই ঘুচিয়েছেন কিডম্যান। এই বিষয়ে এই হলিউড অভিনেত্রী বলেন, 'আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি অন্য শিশুদেরও তো মা। আমার ছয়টি ভাতিজি ও ভাতিজা আছে। তা ছাড়া ১২টা বাচ্চার আমি ধর্ম মা। আমি মাতৃত্ব ভালোবাসি। বাচ্চাদের ভালোবাসি-ওরা অদ্ভুত, মজার ও সরল।' কিডম্যানের কাছে সন্তান জন্মদান একটা অলৌকিক ঘটনা। তবে মা হওয়ার এই যাত্রা অতটা সহজ ছিল না। বেশ কষ্ট পোহাতে হয়েছে। এর আগে ট্যাটলার সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ২৩ বছর বয়সে প্রথম জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ করেন। শুধু তা-ই নয়, টম ক্রুজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার কিছু আগে তাঁর গর্ভপাতও হয়েছিল। তবু মা হওয়ার চেষ্টায় ক্ষান্ত দেননি তিনি। কিডম্যান বলেন, 'মাতৃত্বের আকুলতা আমি জানি। সেই আকুলতা বিশাল, বেদনাদায়ক। আর সেই ক্ষতি! গর্ভপাতের সে ক্ষতির কথা খুব বেশি বলা হয় না। নারীর জন্য এটা বিশাল কষ্টের।' এরপর মাতৃত্বের কষ্ট ও আনন্দের দিকটি তুলে ধরেন কিডম্যান, এর একদিকে যেমন আছে প্রচুর কষ্ট, ঠিক তার বিপরীতে আছে বিশাল আনন্দ। ২০০১ সালে বিচ্ছেদের আগে ইসাবেলা ও কনর নামে দুটি সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন টম ক্রুজ ও নিকোল কিডম্যান। পরে কিথ আরবানকে বিয়ে করেন তিনি। সেই ঘরে সানডে রোজ ও ফেইথ মার্গারেট নামে দুই সন্তানের জন্ম দেন। অধিক সন্তানের প্রতি কিডম্যানের এই আগ্রহ এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে পিপল সাময়িকীকে বলেছিলেন, কী হতো কিথ আরবানের সঙ্গে যদি প্রথম দিকেই সাক্ষাৎ হতো! ৩৮তম জন্মদিনে তাঁদের দেখা হয়েছিল। তখনই ভেবেছিলেন, কিথই সেই লোক, যাকে বিয়ে করা যায়। কিডম্যান বলেন, 'যদি আমাদের ২৫ বছরে দেখা হতো, তাহলে আমাদের ১০টা বাচ্চাই হতো।
সিনেমা,নিকোল কিডম্যান,তারকা
নিকোল কিডম্যান
entertainment
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2021/12/09/16390549316043214
থানা থেকে খোয়া গেলো এএসপির মোবাইল ফোন!
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের কাফরুল থানায় সংবাদ সম্মেলনের পর সেখান থেকে সহকারী পুলিশ কমিশনার মঈনুল ইসলামের ফোন খোয়া গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে ফোনটি খোয়া যায়। একইদিন বেলা ৩টায় কাফরুল থানায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর সহকারী পুলিশ কমিশনার মঈনুল ইসলাম থানা ত্যাগ করে বের হতে গেলে তার একটি মুঠোফোন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে থানার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। থানার বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের খোঁজাখুঁজির পর একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে বলে জানানো হলেও খুঁজে পাওয়া ফোনটি আদৌ মঈনুল ইসলামের কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
null
সহকারী পুলিশ কমিশনারের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের খোঁজে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/01/21/%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%bf/
রূপপুর প্রকল্প থেকে চুরি হলো বৈদ্যুতিক ক্যাবল, মামলা
নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি লেভার ক্রেন থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরির খবর এসেছে। ক্রেনগুলো পদ্মার পাশে পানিপথে মালামাল ওঠানামার জন্যে ব্যবহৃত হয়। প্রকল্পের কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ১২৬ চাকাবিশিষ্ট ক্রেন থেকে চুরি যাওয়া ক্যাবলের মূল্য ৬৫ লাখ টাকা। চুরির কয়েক দিন পর বুধবার রাত ১১টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী থানায় রূপপুর প্রকল্প থেকে এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 'আছের' ডাইরেক্টর অফ সিকিউরিটি ভিএন তুরুটিন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, রূপপুর প্রকল্পের অভ্যন্তরে জাহাজের মালামাল ওঠানামার নির্ধারিত স্থানে থাকা ওই দুটি লেভার ক্রেন গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের সময়ে ক্যাব্লগুলো রাখা ছিল। কিন্তু গত ৯ জানুয়ারি পুনরায় জাহাজে ওই দুই লেভার ক্রেনের যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ২৬৫ মিটার গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবল পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে রূপপুর প্রকল্পের জন্য নির্মিত জেটিতে মালামাল ওঠানামা অনিয়মিত রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ক্রেন দুটি থেকে ক্যাবলগুলো চুরি হয়েছে। কিন্তু এত বিপুল অঙ্কের টাকার মালামাল খোয়া গেলেও এ বিষয়ে প্রকল্পের অনেকেই মুখ খুলতে চান না। এ ব্যাপারে জানতে রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. সৌকত আকবরকে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে রূপপুর প্রকল্পের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম বলেন, চুরির বিষয়টি মোটেও ঠিক হয়নি। এখানে প্রত্যেকটি সাব কন্ট্রাক্টরের নিজস্ব সিকিউরিটি আছে। এছাড়া, বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তা রয়েছে। মূল ঠিকাদার রোসাটমেরও কিছু দায়িত্ব আছে। সাইট ইঞ্জিনিয়ার বলেন, গত সপ্তাহে রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক ড. সৌকত আকবর রূপপুর প্রকল্পে এসে সেনাবাহিনীসহ অনেকের সঙ্গে মিটিংও করেছেন। এ সময় সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেয়া হয়। আমরাও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার রাত ১১টার পরে রূপপুর প্রকল্প থেকে 'আছের' ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি মামলার জন্য এজাহার জমা দেন। রাতেই মামলাটি গ্রহণ করা হয়। চুরি প্রসঙ্গে ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, ওই ক্রেনের ক্যাবল চুরির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের হয়ত নিয়মিত ওখানে যাতায়াত আছে বা মেশিন সম্পর্কে ধারণা আছে। তা না হলে এত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি হলো কীভাবে? তিনি আরও জানান, মামলাটি তদন্তের জন্য পাকশী ফাঁড়ির পরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
null
রূপপুরে এই লেভার ক্রেন থেকে চুরি হয়েছে বৈদ্যুতিক ক্যাবল।
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2018/05/12/329600
সড়ক দুর্ঘটনা; হালুয়াঘাটের ৬ পরিবারে শোকের মাতম
একটু বাড়তি আয়ের আশায় সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ময়মনসিংহ শহরে বিল্ডিংয়ের কাজ শেষে শুক্রবার বাড়ি ফিরছিলেন আয়ূব আলী, পুত্র, ভগ্নিপতিসহ সহযোগীরা। বিকেলে হালুয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের সাথে সিএনজির সংঘর্ষে নিভে যায় ছয়টি তরতাজা প্রাণ। নিহতরা তারা হলেন বীরগুছিনা গ্রামের আয়ূব আলী (৬০), ছেলে আব্দুল করিম (২৪), নাজিম উদ্দিন (৩০) ও নশ্বাইপাড়া গ্রামের মাজহারুল (১৫), নিহত আয়ূব আলীর ভগ্নিপতি সলিম উদ্দিন (২৫) এবং বাহিরশিমূল গ্রামের সিএনজি চালক নূরে আলম ওরফে সোনা মিয়া (৪৫)। স্বামী আয়ূব আলী আর বুকের ধন ছেলে আব্দুল করিমকে হারিয়ে স্ত্রী কর্ফুলি আর তিন মেয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। তাদেরকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছেন গ্রামবাসীও। অন্যদিকে অকালে চলে যাওয়া মাজহারুলের বাবা সিদ্দিকুর রহমান অনেকটাই বাকরুদ্ধ। শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়েছিলেন বাড়িতে আসা মানুষের মুখের দিকে। নিহতের পরিবারগুলোর আহাজারী কিভাবে থামবে তা জানে না কেউ। তাদের অকাল মৃত্যুতে অসহায় পরিবারগুলোর ভবিষ্যত চিন্তার ভাঁজ নিহত স্বজনদের চোখে মুখে। স্থানীয়রা জানান, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছে তারা সবাই শ্রমের উপর নির্ভরশীল। রাজমিস্ত্রির কাজই তাদের প্রধান যোগান। আমরা খুবই মর্মাহত ও শোকাহত, ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এমন মৃত্যুতে অসহায় পরিবারগুলোকে কোন সান্তনা দিতে পারছি না। আজ বেলা ১১ টার দিকে জানাজায় ও নিহতদের বাড়িতে স্বজনদের শান্তনা দিতে যান হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ ও আমতৈল ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমানসহ অনেকে। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়। বিডি প্রতিদিন/১২ মে ২০১৮/হিমেল
null
নিহতের স্বজনদের আহাজারি
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/08/12/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%95/
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেউ না খেয়ে মারা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোনদিন দুর্ভিক্ষে বা না খেয়ে কেউ মারা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে 'করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় দেশে খাদ্যসংকট লেগেই থাকত। প্রতিবছর আশ্বিন-কার্তিক মাস আসলেই উত্তরবঙ্গে মঙ্গা দেখা দিত। দুর্ভিক্ষ হতো, মানুষ খেতে পেতো না। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে বিগত ১৩ বছরে মানুষ না খেয়ে আছে, খাবারের কষ্ট করছে ও না খেয়ে মানুষ মারা গেছে- তার একটি নজিরও নেই। মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যেটি ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সবসময় মানুষের পাঁশে থাকে। এ সরকারের আমলে খাদ্য নিরাপত্তায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশে আর কোনদিন দুর্ভিক্ষে কেউ মারা যাবে না। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সহসভাপতি সাদেক খান এমপি, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিয়াচান বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনজুড়ে ছিল কৃষি-কৃষকের কল্যাণ ভাবনা: এর আগে কৃষিমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা: আগামীর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন। এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা রাজনৈতিক জীবনজুড়ে কৃষক এবং কৃষির উন্নয়ন ও কল্যাণ ভাবনা নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। তাই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরপরই বাংলার চিরদু:খী ও নির্যাতিত কৃষক ও চাষির উন্নয়নে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়নের যে ভিত্তি রচনা করেছিলেন সেটিকে অনুসরণ করে, সে ভিত্তির উপর ভর করে, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্রমাগতভাবে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর ফলেই কৃষি উৎপাদন ও উন্নয়নে আজ বিস্ময়কর সাফল্য এসেছে। মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিতে আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ হলো কৃষিপণ্যের বিপণন। কৃষিকে লাভজনক ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে কৃষিপণ্যের বিপণন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে বিদেশে কৃষিপণ্যের বাজার বৃদ্ধি করতে না পারলে কৃষিতে যে উন্নয়ন হয়েছে তা টেকসই হবে না। সেজন্য কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাত বৃদ্ধিতে কৃষিশিল্পায়নে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, প্রাণ-আরএফএলের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, করোনাকালে অর্থনৈতিক মন্দায় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে শক্তিশালী কৃষিখাত।
আওয়ামী লীগ,কৃষিমন্ত্রী,শেখ হাসিনা
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/05/21/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be/
বাইডেন-ব্লিনকেনের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনসহ ৯ শতাধিক আমেরিকানের ওপর রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মস্কো। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তিরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। শনিবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে মস্কো। বাইডেন ব্লিনকেন ছাড়াও মস্কোর এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বানর্স এবং শতাধিক কংগ্রেস সদস্য রয়েছেন। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এই খবর প্রকাশ করেছেন।
null
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন
international
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/10/16/702003
আশুগঞ্জে র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেফতার ৩৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিলাসবহুল আর.জে. টাওয়ার এন্ড রিসোর্টের বারে অভিযান চালিয়ে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। অভিযানে প্রায় ৭০ জনকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৩১ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় বিদেশি ১২০ বোতল হুইস্কি, ৭৪৯ বোতল ভদকা ও ৩ হাজার ৯৮০ বোতল বিয়ার জব্দ করা হয়। আজ শনিবার সকাল ১১টায় গ্রেফতারকৃতদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা আশুগঞ্জের আরজে টাওয়ারে অভিযান চালায়। এ সময় লাইসেন্স ছাড়া ব্যক্তিদের মাঝে মদ ও বিয়ার কেনাবেচার অভিযোগে বারের ম্যানেজারসহ ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় ১২০ বোতল হুইস্কি, ৭৪৯ বোতল ভদকা ও ৩ হাজার ৯৮০ বোতল বিদেশি বিয়ার। এই ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য আইন মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
র‍্যাব, অভিযান, গ্রেফতার
-
national
https://www.prothomalo.com/feature/naksha/কাজের-বেলা-সাজের-বেলা
কাজের বেলা, সাজের বেলা
এই ঈদের উৎসবে সাজগোজের চেয়ে কাজটাই হয়তো বেশি করতে হয়। তবে যাঁরা সাজতে ভালোবাসেন, তাঁরা অবশ্য কাজের মাঝেই সাজেন। তবে কাজের সময়কার সাজটা আরামদায়ক না হলে সাজ আর কাজ-দুটিই যে মাটি হবে। আর সুন্দর ত্বকের জন্য যত্ন নিতে হবে আগে থেকেই। ধাপে ধাপে যত্ন নিতেহারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানালেন, যেকোনো প্যাক ব্যবহার করার আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন শসার রস। তবে শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এর সঙ্গে মধু যোগ করতে পারেন।স্ক্রাবিংয়ের জন্য ত্বকে চালের গুঁড়া, শসার রস, গাজরের রস ও তিলের তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপযোগী।এরপর আসে মাস্কিংয়ের পালা। শুষ্ক অথবা স্বাভাবিক ত্বকে মাস্ক হিসেবে দুধ, সামান্য কাঠবাদাম বাটা, মধু ও সয়াবিন পাউডার একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মেশাতে পারেন সামান্য গুঁড়া হলুদ অথবা দু-তিন ফোঁটা তিলের তেল। তাতে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে। চাইলে সয়াবিন পাউডারের পরিবর্তে লাল আটা ব্যবহার করতে পারেন। মধুতে অ্যালার্জি থাকলে তা পরিহার করুন। আর ত্বক খুব শুষ্ক হলে দুধের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন দুধের সর।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে যব অথবা ওটমিল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন কাঁচা হলুদ বাটা। হলুদে অ্যালার্জি থাকলে গাঁদা ফুলের পাপড়ি বাটা ব্যবহার করতে পারেন। মাস্কিংয়ের জন্য ২০ মিনিট ত্বকে মিশ্রণ লাগিয়ে রাখার পর তা ধুয়ে ফেলুন। এরপর লাগাতে হবে ময়েশ্চারাইজার। তৈলাক্ত ত্বকে ওয়াটার-বেসড এবং স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বকে অয়েল-বেসড ময়েশ্চারাইজার লাগান।এ ছাড়া সমপরিমাণ গোলাপজল, তিলের তেল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে কাচের জারে রেখে দিতে পারেন। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। আর ব্যবহারের আগে জারটি ঝাঁকিয়ে নিন।যত্নে রাখুন নিজেকেরেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত ধরনের, তাঁদের অবশ্যই দিনে চার-পাঁচবার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আবার যাঁদের ত্বক একটু শুষ্ক প্রকৃতির, তাঁদের জন্য ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারও যদি ত্বকে কোনো ময়েশ্চারাইজারই মানানসই না হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি শিশুদের ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা শসা, মুলতানি মাটি ও মসুরের ডাল বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন। কারও ব্রণের সমস্যা থাকলে এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন কমলালেবুর খোসা। আর ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে এ প্যাকটিতেই যোগ করে নিন সামান্য হলুদ গুঁড়া। প্যাকটি পাঁচ-সাত মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে।মিশ্র প্রকৃতির ত্বক হলে মুখ পরিষ্কার করার পর মুখ থেকে গলা পর্যন্ত অংশে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ময়েশ্চারাইজার ধুয়ে ফেলুন। তোয়ালের সাহায্যে ত্বক হালকাভাবে মুছে নিন। ঠোঁটেরও চাই যত্নঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা লিপবাম ব্যবহার করুন নিয়মিত। বাইরে যাওয়ার সময়ও এগুলো সঙ্গে রাখতে পারেন।ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যারও সমাধান দিয়েছেন আফরোজা পারভীন। গোলাপের পাপড়ি মধু দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ছোট কোনো পাত্রে এ মিশ্রণ সংরক্ষণ করতে পারেন। চাইলে রাখতে পারেন রেফ্রিজারেটরে। এ মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগানোর পর খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন বেশ কিছুক্ষণ ঠোঁটের সংস্পর্শে থাকে। লাগানোর পর ধুয়ে ফেলবেন না, বরং ঠোঁট শুষ্ক মনে হলে আবার লাগান। মিশ্রণের কিছু অংশ যদি আপনার মুখের ভেতরে চলে যায়, তাতেও ক্ষতি নেই কোনো।সুস্থ থাকুক ত্বকত্বকের যত্নে ব্যবহৃত সব উপাদানই যে সবার জন্য মানানসই, তা কিন্তু নয়। আর ত্বক ভালো রাখতে হলে খাবারদাবারের ব্যাপারেও থাকতে হবে সচেতন। ত্বকের সুস্থতা প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখুন। পরিষ্কার ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকে।উৎসবের আমেজে খাওয়াদাওয়া তো চলবেই। তবে যে খাবারে অ্যালার্জি আছে, তা পরিহার করতে হবে। গুরুপাক খাবার ভরপেট খাবেন না। পেটের খানিকটা অংশ খালি রেখেই পানি ও খাবার খাওয়া শেষ করুন। সারা দিনে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন। পরিশ্রম বেশি হলে পানি পান করতে হবে আরও বেশি। হাত ও পায়ের জন্যঈদের আগেই ম্যানিকিওর এবং পেডিকিওর করিয়ে নিতে পারেন। কাজ করার পরে হাত-পায়ের সৌন্দর্যে ঘাটতি হয়েছে বলে মনে করলে পরবর্তী সময়ে আরও একবার ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর করাতে পারেন।ঈদের দিন কাজ করার পর প্রথমে পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। তারপর একটু গুঁড়া হলুদ দিয়ে হাত ম্যাসাজ করুন। কাঁচা মাংসের গন্ধ যাঁরা সহ্য করতে পারেন না, তাঁরা হলুদ গুঁড়া ব্যবহারে উপকার পাবেন। হলুদ জীবাণুনাশকের কাজও করবে। হলুদ দিয়ে ম্যাসাজ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে ব্রাশ বা নেটজাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন। হাত ধোয়ার স্থানটির কাছেই রাখুন লোশন বা পেট্রোলিয়াম জেলি। হাত ধোয়ার পর এগুলো ভেজা হাতে লাগান এবং তারপর মুছে ফেলুন। নখ রাখুন সুরক্ষিতনেইলপলিশ লাগিয়ে রেখেই কাজ করতে পারেন ঈদের দিন। নিয়মিত নেইলপলিশ লাগালে অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের নেইলপলিশ ব্যবহার করবেন। মাংস কাটা, ভাগ করা, এমনকি রান্নার কাজ যাঁরা করবেন, তাঁরা অবশ্যই নখ ছোট রাখুন। কারণ, কাজ করতে গিয়ে নখ উল্টে বা ভেঙে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।কাজের পরে সাজআফরোজা পারভীন জানালেন, ঈদের দিন মেকআপে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক বেস ব্যবহার করতে হবে। পাউডার বেসই এ সময়ের জন্য ভালো। কাজল, আইলাইনার আর মাশকারা হতে হবে পানিনিরোধক, যেন ঘেমে গেলেও সেগুলো নষ্ট হয়ে না যায়। ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, কাজের মাঝেও যেন অন্তত দুপুরের পর পর্যন্ত মেকআপটা ঠিক থাকে।হালকা রঙের ব্যবহারই এ সময় আপনার চেহারায় আনবে সতেজতা। সোনালি, হালকা গোলাপি, হলুদ বা হালকা পিচ রঙের শেড চোখে মানিয়ে যাবে বেশ। কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী জানান, চোখের নিচের দিকটায় নীল, সবুজ বা বাদামি রঙের কাজল দেওয়া যেতে পারে। লিপস্টিকের জন্য বেছে নিতে পারেন গোলাপির বিভিন্ন শেড অথবা হালকা বাদামি, কমলা, লাল রং। দু-তিনটি রং মিলিয়েও শেড হতে পারে লিপস্টিকের। তাই ঈদের আগেই বেছে রাখতে পারেন মানানসই শেডের জন্য প্রয়োজনীয় রংগুলো। ফেস পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন। দাগ ঢেকে যাকব্রণের দাগ বা চোখের নিচের কালো দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন আফরোজা পারভীন। দাগের স্থানে কনসিলার লাগিয়ে ভালোমতো বসিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেন ওই অংশের ত্বকের রঙের চেয়ে একটু গাঢ় রঙের কনসিলার ব্যবহার করা হয়, নইলে দাগ ঠিকমতো ঢাকা যাবে না।
রূপচর্চা,নকশা
ঈদের দিনে কাজের ফাঁকেই সেরে নিন সাজ। মডেল: নন্দিনী, সাজ: ফারজানা মুন্নি, পোশাক: বিবিয়ানা, ছবি: কবির হোসেন
life-health
https://www.dailynayadiganta.com/subcontinent/400195/এখনো-বিয়ে-না-করার-কারণ-জানালেন-মায়াবতী
এখনো বিয়ে না করার কারণ জানালেন মায়াবতী
উত্তরপ্রদেশে তার সময়ে তিনি তার মূর্তি তৈরি করে কোনো ভুল করেননি। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। তার শাসনকালে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় তার এবং দলিত নেতাদের মূর্তি বসানো হয়েছিল। এমনকী দলের প্রতীক হাতির মূর্তি বসানো নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে মায়াবতী এ বিষয়ে জবাব দিয়েছেন। মায়াবতী তার হলফনামায় জানিয়েছেন, তিনি তার গোটা জীবন নিপীড়িত মানুষের উন্নয়নের জন্য অতিবাহিত করেছেন। সেই কারণে তিনি বিয়ে পর্যন্ত করেননি। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় মায়াবতী ও দলের প্রতীক হাতির মূর্তি বসানো হয়েছিল তারই শাসনকালে। জনগণের ইচ্ছেকে সম্মান জানাতে তার এবং তার দলের প্রতীক হাতির মূর্তি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মায়াবতী। সুপ্রিম কোর্ট এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি মায়াবতীকে জানিয়ে দেয় যে, লখনউ ও নয়ডাতে নিজের ও তার দলের প্রতীক হাতি স্থাপনের জন্য জনসাধারণের যে টাকা তিনি ব্যয় করেছিলেন তা ফেরত দিতে হবে। মায়াবতী তার হলফনামায় বলেন, 'সারাজীবন দলিত-নিপীড়িতদের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করে গিয়েছি। এমনকী এ জন্য আমি বিয়েও করিনি।' তিনি আরো বলেন, 'স্মৃতিস্তম্ভগুলো সামাজিক সংস্কারকদের মূল্যবোধ ও আদর্শ উন্নয়নের উদ্দেশ্য তৈরী করা হয়েছে, বিএসপির প্রতীক উন্নয়নের জন্য নয়। নির্মাণকার্যের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা বিধানসভা থেকে পাশ হওয়া নির্মাণ তহবিলের বরাদ্দ অর্থ থেকে নেয়া হয়েছে।' বিগত ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মায়াবতী সরকার একাধিক দলিত নেতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে, যার মধ্যে বিএসপি প্রতিষ্ঠাতা কাশীরাম ও বিএসপির নির্বাচনী প্রতীক 'হাতির' মূর্তি ছিল। ফেব্রুয়ারিতে এক আইনজীবীর দায়ের করা পিটিশনে উল্লেখ করা হয় যে, লখনউ, নয়ডা এবং রাজ্যের কয়েকটি স্থানে ২,৬০০ কোটি রুপিরও বেশি অর্থ ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভ ও মূর্তি নির্মিত হয়েছিল। আবেদনকারীর যুক্তি ছিল যে নিজের মূর্তি নির্মাণের জন্য এবং রাজনৈতিক দলের প্রচারের জন্য জনসাধারণের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না।
null
মায়াবতী
international
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/03/07/747427
বন্দর নগরী মাইকোলাইভে ব্যাপক বোমাবর্ষণ রুশ বাহিনীর, জানালেন সিটি মেয়র
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মাইকোলাইভে ব্যাপক বোমা বর্ষণ করছে রাশিয়ান বাহিনী। সোমবার সকাল থেকে রুশ বাহিনী সেখানে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে বলে মাইকোলাইভ সিটির মেয়র অলেক্সান্ডার সেনকেভিচ। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, রাশিয়ান সৈন্যরা শহরের আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু হামলা চালাচ্ছে। এ সময় তিনি আগুনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ভবনের একটি ব্লকের ভিডিও শেয়ার করেন। ইউক্রেনীয় বাহিনী চার লাখ ৭৬ হাজার অধিবাসীর এই শহরে রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করার এবং স্থানীয় বিমানবন্দর পুনরুদ্ধার করার একদিন পরেই নতুন করে ব্যাপক হামলা শুরু করল রাশিয়ান সেনারা। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দেশে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। আজ সোমবার অভিযানের দ্বাদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। তবে রাশিয়ার এই অভিযানে ইতোমধ্যে ১৫ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি বিডি প্রতিদিন/কালাম
ইউক্রেন, রাশিয়া, পুতিন, জেলেনস্কি, যুদ্ধ, মাইকোলাইভ
বন্দর নগরী মাইকোলাইভে ব্যাপক বোমাবর্ষণ রুশ বাহিনীর, জানালেন সিটি মেয়র
international
https://www.ajkerpatrika.com/160652/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9
ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ
দিনাজপুরের বিরামপুরে অধিকাংশ জমিতে ধানের আবাদ হলেও বর্তমানে বাড়ছে মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজের চাষ। কয়েক বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। ব্যাপক আকারে না হলেও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এর চাষ। এর মধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার ৩০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। কৃষি অধিদপ্তর থেকে সরবরাহ করা বীজে চাষ হয় এসব জমিতে।বিরামপুর ভবানীপুর (মুন্সিপাড়া) কৃষক ফজলে হোসেন বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ দিয়েছে। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা আমাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা পরিচর্যা করেছি। আশা করছি, ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারব।শীতকালীন রবিশস্য চাষ করেন একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক নামের এক চাষি এসব রবিশস্যের চারার ফাঁকে ফাঁকে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ব্যাপক আকারে কখনো পেঁয়াজ চাষ করিনি। কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার কিছু চাষ করেছি, ফলন বেশি হলে আগামীতে বেশি করে চাষ করব। পেঁয়াজকে সাধারণত ঠান্ডা জলবায়ু উপযোগী ফসল বলা হয়। বর্তমানে গ্রীষ্মকালেও এই ফসলের চাষ হচ্ছে। উর্বর মাটি এবং সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে হয়। ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পেঁয়াজের জন্য উপযোগী। অধিক এঁটেল মাটিতে পেঁয়াজের চাষ না হলেও দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে পেঁয়াজ ভালো হয়।'বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকসন চন্দ্র পাল বলেন, এ উপজেলায় মসলাজাতীয় ফলন চাষে তেমন আগ্রহী ছিলেন না কৃষক। কিন্তু এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। পেঁয়াজের দাম পাওয়ায় এ চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকেও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, এবার তা ছাড়িয়ে ১০৫ হেক্টর হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ১০-১২ টন। আশা করা যায়, এবারও ভালো ফলন হবে। তা ছাড়া ৩০ জন চাষিকে ৩০ বিঘা জমির জন্য সার-বীজ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দিনাজপুর,কৃষক,পেঁয়াজ,চাষ,ছাপা সংস্করণ,রংপুর সংস্করণ,দিনাজপুর নীলফামারী গাইবান্ধা
ভালো দাম পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ
national
https://www.ajkerpatrika.com/47070/%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%87
মেয়রের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে দলটির একাংশ। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে তারা।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন নেতা সম্পর্কে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মন্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ফুসে ওঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একাংশ। ধারাবাহিক এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কোথাও ঝাড়ু মিছিল, কোথাও বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় সড়কের উভয় পাশে দুই ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো মানুষ।বিকেল ৪টা থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড, মিলগেট চেরাগ আলী, কলেজগেট ও হোসেন মার্কেট এলাকায় একত্র হতে থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আ.লীগের নেতা-কর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় টঙ্গীর স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, কলেজগেট ও হোসেন মার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।গত এক সপ্তাহের এ আন্দোলনে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। একাধিক যাত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের এ বিক্ষোভে তাঁরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি সমাধান করা জরুরি।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার(অপরাধ দক্ষিণ) মো. ইলতুৎ মিশ বলেন, সড়কে পুলিশ ছিল। বিক্ষোভ শেষে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন গাজীপুরের নেতা-কর্মীরা।
গাজীপুর,টঙ্গী,ঢাকা বিভাগ,বিক্ষোভ,মেয়র,ছাপা সংস্করণ,ঢাকা সংস্করণ,রাজধানীর চারপাশ
দলীয় পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের একাংশের বিক্ষোভ।
national
https://www.prothomalo.com/world/europe/ইউক্রেনে-রাশিয়ার-ভাড়াটে-সেনা-মোতায়েন-যুক্তরাজ্য
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা মোতায়েন: যুক্তরাজ্য
রাশিয়ার একটি বেসরকারি কোম্পানির ভাড়াটে সেনাদের পূর্ব ইউক্রেনে মোতায়েন করেছে মস্কো। যুক্তরাজ্যের সামরিক গোয়েন্দারা গতকাল সোমবার এই দাবি করেন। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। যুক্তরাজ্যের সামরিক গোয়েন্দাদের ভাষ্য, রাশিয়ার ব্যক্তিমালিকানাধীন সামরিক প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনাদের পূর্ব ইউক্রেনে মোতায়েন করেছে মস্কো। ওয়াগনার গ্রুপের সেনাদের প্রতি ইঙ্গিত করে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধে অংশ নিতে রাশিয়া সহস্রাধিক ভাড়াটে সেনা পূর্ব ইউক্রেনে মোতায়েন করেছে বলে তারা ধারণা করছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও আছেন। - ' : ://./ ../ গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে নিজেদের উপস্থিতি জোরদারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপ। চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন কর্মকর্তারা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছিলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য সিরিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধাদের নিয়োগ দিচ্ছে রাশিয়া। মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেন, নগর যুদ্ধে দক্ষ সিরীয়দের নিয়োগ করছে রাশিয়া। উদ্দেশ্য, ইউক্রেন যুদ্ধে সিরিয়ার এই ভাড়াটে যোদ্ধাদের কাজে লাগানো। তবে ঠিক কতজন সিরীয় ভাড়াটে যোদ্ধা রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দিতে সম্মত হয়েছেন, সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি মার্কিন কর্মকর্তারা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ চলার মধ্যেই আজ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যে তুরস্কে পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল।
রাশিয়া,রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাত,যুক্তরাজ্য,ইউক্রেন,রাশিয়া-ইউক্রেন,যুদ্ধ
ইউক্রেনে এক মাসের বেশি সময় ধরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া
international
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2021/02/11/617568
বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম্যে সেতুমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) এখনো দালালদের দৌরাত্ম্য থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান মন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া শুরু হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, লাইসেন্সের গুণগত এবং স্মার্ট কার্ডের বৈশিষ্ট্য যা যা থাকার কথা তার কোনোটির সঙ্গে আপস করা যাবে না। এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর যেন না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানান তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রুত কার্ড সংগ্রহ করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে গতি ফিরিয়ে আনতে হবে এবং মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে হবে। বিআরটিএর সেবার মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন যানবাহন সেবায় গতি আনা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, গুটিকয়েক অনিয়মকারীর জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে পারে না। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনিয়মের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সেবামুখী হওয়ার আহ্বান জানান। যানবাহনে ফিটনেস গ্রহণের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে সেবা সহজীকরণ এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যে কোনো সার্কেল অফিস হতে যানবাহনের ফিটনেস সনদ নেওয়া যাচ্ছে। আগে ফিটনেস দেওয়া হতো এক বছরের জন্য, এখন দেওয়া হচ্ছে দুই বছরের জন্য। সরাসরি ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসেই ১৮টি ব্যাংকর চারশ'র বেশি শাখা এবং বুথে মোটরযানের বিভিন্ন ফি জমা দিতে পারছেন গ্রাহকরা। সড়কে দুর্ঘটনা এখনো হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এখন মূল লক্ষ্যই হতে হবে সড়কে দুর্ঘটনা কমানো। এই বিষয়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
null
ওবায়দুল কাদের
politics
https://www.ajkerpatrika.com/74674/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%95
শেষ দুই মাসে ছবি মুক্তির হিড়িক
নতুন ছবির খরায় ভুগছে দেশের সিনেমা হলগুলো। বড় বাজেটের অনেক ছবি তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও দর্শক সংকটের আশঙ্কায় মুক্তি দিতে নারাজ প্রযোজকেরা। তবে বছর শেষে পাওয়া যাচ্ছে একগুচ্ছ ছবি মুক্তির খবর। প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে হলে আসবে ১২টি ছবি।করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল দেশের সিনেমা হলগুলো। প্রায় সাত মাস পর গত ১৬ অক্টোবর থেকে হলগুলোতে ছবি প্রদর্শনীর অনুমতি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। অনুমতি মিললেও দর্শক হলে না আসার আশঙ্কায় প্রথম দিকে ছবি মুক্তি দিতে এগিয়ে আসেননি প্রযোজকেরা। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুই মাসে হাতে গোনা কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েছে দেশের সিনেমা হলে।তবে বছরের শেষ দুই মাস নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এ চিত্র একেবারেই পাল্টে গেছে। এরই মধ্যে মুক্তির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে একগুচ্ছ ছবির নাম জমা পড়েছে। সমিতি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে মুক্তির জন্য এখন পর্যন্ত পাঁচটি ছবির নাম জানা যাচ্ছে।এগুলো হলো- ৫ নভেম্বর 'এ দেশ তোমার আমার', ১২ নভেম্বর 'রেহানা মরিয়ম নূর' ও 'তোর মাঝেই আমার প্রেম', ১৯ নভেম্বর 'কসাই' এবং ২৬ নভেম্বর 'আয়না'। এ ছাড়া 'নোনা জলের কাব্য' নামের একটি ছবির মুক্তির তারিখ ঘোষণা হয়েছে ২৬ নভেম্বর। যদিও এ ছবির নাম এখনো চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির তালিকায় ওঠেনি।'এ দেশ তোমার আমার' ডিপজল প্রযোজিত ছবি। অনেক আগেই নির্মাণ শেষ হলেও এত দিন আটকে ছিল ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন ডিপজল, মৌসুমী, রুমানা খান প্রমুখ। আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত আলোচিত ছবি 'রেহানা মরিয়ম নূর' ১২ নভেম্বর মুক্তির জন্য এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর ছবিটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে দর্শকদের মধ্যে। অনন্য মামুন পরিচালিত 'কসাই' ছবিটি এর আগে এসেছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই থিয়েটারে। এবার 'কসাই' দিয়ে বড় পর্দায় দেখা দিচ্ছেন নিরব। অক্টোবরে 'চোখ' মুক্তির পর এটিই এ বছরে নিরবের দ্বিতীয় ছবি। নিরব বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবার সচল হয়ে উঠছে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। আমি আহ্বান করব দর্শকেরা যেন হলে গিয়ে ছবির আসল স্বাদটা উপভোগ করেন। আমার অভিনীত সর্বশেষ 'চোখ' ছবি নিয়ে দর্শকের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। আশা করি 'কসাই' ছবিটিও নিরাশ করবে না।'আগামী ডিসেম্বরে মুক্তির জন্য চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে জমা পড়েছে সাতটি ছবির নাম। এগুলো হলো- ৩ ডিসেম্বর 'ছিটমহল' ও 'অবাস্তব ভালোবাসা', ১০ ডিসেম্বর 'কালবেলা', ১৭ ডিসেম্বর 'বিয়ে আমি করব না' ও 'পরানের পাখি' এবং ২৪ ডিসেম্বর 'স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা' ও 'আগামীকাল'। এ ছাড়া পুলিশি অ্যাকশন ছবি 'মিশন এক্সট্রিম'-এর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ৩ ডিসেম্বর।নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুলের জীবনের শেষ ছবি 'কালবেলা'। ৯০ শতাংশ শুটিং করার পর ২০১৮ সালে মারা যান তিনি। টুটুলের সহধর্মিণী ও ছবির প্রযোজক মোবাশ্বেরা খানম বাকি অংশের কাজ শেষ করে ১০ ডিসেম্বর মুক্তি দিতে চাইছেন ছবিটি। মোবাশ্বেরা খানম বলেন, 'ছবিটি তৈরি হয়েই ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ায় অপেক্ষা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় আমরা ছবি মুক্তি দিতে চাইছি।'মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত 'স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা' সেপ্টেম্বরে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিল। ২৪ ডিসেম্বর এ ছবি দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হবে নিশাত নাওয়ার সালওয়ার। সালওয়া বলেন, 'চলচ্চিত্রে আমি নতুন। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি ভালো করার। এখন অপেক্ষায় আছি রেজাল্টের। আমার বিশ্বাস, ফেলে আসা মন্দ সময়গুলো ভুলে নতুন উদ্যমে জেগে উঠবে আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গন।' কবরী পরিচালিত 'এই তুমি সেই তুমি' ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন নিশাত। বছর শেষে বড় ধামাকা নিয়ে হাজির হচ্ছেন আরিফিন শুভ। 'মিশন এক্সট্রিম' দিয়ে অনেক দিন পর আবার বড় পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। পুলিশি অ্যাকশন এই ছবিটি নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা অনেক।সব মিলে এ বছরের শেষটা দেশীয় ছবির জন্য একপ্রকার আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিচ্ছে। অনেক দিন ছবির খরায় থাকার পর এক ডজনেরও বেশি ছবি পাচ্ছে সিনেমা হলগুলো। তবে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, বড় তারকার বড় বাজেটের অনেক ছবি হাতে রেখে দিয়েছেন প্রযোজকেরা। সেগুলো এখনই মু্ক্তির ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না তাঁরা। ছবিগুলো এলে অনেকটাই সচল হবে ছবির বাজার।
বিনোদন,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন
শেষ দুই মাসে মুক্তির হিড়িক
national
https://www.ajkerpatrika.com/9001/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F
একেন বাবু কেন জনপ্রিয়?
হইচইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজ 'একেন বাবু'। আত্মভোলা, বোকা সেজে থাকা দক্ষ গোয়েন্দা একেন শুরু থেকেই দর্শকের নজর কেড়েছে। একেন বাবু চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। চরিত্রটি জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ, অনির্বাণের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের জটায়ু চরিত্রের সন্তোষ দত্তর চেহারার অসম্ভব মিল।সুজন দাশগুপ্তর লেখা এক আশ্চর্য চরিত্র একেন। বুদ্ধিতে যেন ফেলুদা আর স্বভাবে ঠিক জটায়ু। লালমোহন গাঙ্গুলির মতোই খুব খারাপ হিন্দি বলেন। সব সময় হাসি-ঠাট্টা দিয়ে জমিয়ে রাখলেও বড় বড় রহস্যের সমাধান বেরিয়ে আসে তাঁর মাথা থেকেই।একেন বাবুর প্রথম দেখা পাওয়া যায় ২০০৮ সালে। এ পর্যন্ত 'একেন বাবু' সিরিজের চারটি সিজন প্রচারিত হয়েছে। হালের জনপ্রিয় এই গোয়েন্দার পা পড়েছে ঢাকায়ও। সিরিজের তৃতীয় সিজনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গল্প সাজানো হয়েছিল।একেন চরিত্রের অনির্বাণ চক্রবর্তীর অভিনয় শুরু ছোটবেলায়। গ্রুপ থিয়েটার করতেন। দু-একটা সিনেমায় মুখ দেখালেও কখনো তেমন আলোচনায় আসেননি অনির্বাণ। শিক্ষকতা ছিল তাঁর পেশা। পড়াতেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। চাকরি করেছেন বাংলাদেশেও। ২০০৪ সালের দিকে চাকরিসূত্রে দুই বছর ছিলেন ঢাকা ও খুলনায়।অনির্বাণ চক্রবর্তীর প্রথম সিনেমা ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর 'ফড়িং'। এর আগে থিয়েটারই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। একেন চরিত্র থেকে বেরিয়ে আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি।
বিনোদন,সিরিয়াল,ওয়েব সিরিজ,হইচই,অনির্বাণ চক্রবর্তী
অনির্বাণ চক্রবর্তী। টুইটার
entertainment
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2017/05/30/236132
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চলচ্চিত্রশিল্পীদের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা গত শনিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে চলচ্চিত্রের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ তারকাশিল্পীও ছিলেন। ছবিতে (বাঁ থেকে) রিয়াজ, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানা, সায়মন, মিশা সওদাগর, পপি, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, কবরী, জায়েদ খান, ফারুক, রোজিনা ও অঞ্জনা।
null
তে বাঁ থেকে রিয়াজ, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানা, সায়মন, মিশা সওদাগর, পপি, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, কবরী, জায়েদ খান, ফারুক, রোজিনা ও অঞ্জনা।
entertainment
https://www.prothomalo.com/business/world-business/চলতি-বছরেই-প্রণোদনা-প্রত্যাহার-শুরু-হতে-পারে
চলতি বছরেই প্রণোদনা প্রত্যাহার শুরু হতে পারে
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে চলতি বছরেই প্রণোদনা প্রত্যাহার শুরু করতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল এক বক্তব্যে এ কথা জানান। তিনি এ-ও বলেন, সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতি বাড়লেও ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়া করছেন না তাঁরা। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনার ডেলটার প্রভাব কতটুকু প্রভাব ফেলে, তার ওপর। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়েছে। গত বছর করোনা মহামারির কারণে মার্কিন অর্থনীতি তীব্রভাবে সংকুচিত হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে আবারও শক্তিশালী অবস্থানে উঠে এসেছে অর্থনীতি। সংকটের সময় ফেডারেল রিজার্ভ মার্কিন সুদের হার প্রায় শূন্যে নামিয়ে এনেছিল। সেই সঙ্গে অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য সরকারি ও করপোরেট বন্ড ক্রয় বাড়িয়েছিল। যার ফলে মানুষের ব্যবসার জন্য অর্থঋণ নেওয়া সস্তা হয়। তবে এর ফলে বেড়ে গেছে মূল্যস্ফীতি। গতকাল শনিবার জ্যাকসন হোল ইকোনমিক পলিসি সিম্পোজিয়ামে তাঁর বার্ষিক বক্তৃতায় পাওয়েল বলেন, 'আমরা বলেছিলাম যে আমরা আমাদের সম্পদ ক্রয় বর্তমান গতিতেই চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না আমরা সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান অর্জনের লক্ষ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি না দেখি।' পাওয়েল বলেন, 'মনে করছি, সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের বিষয়ে স্পষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' তিনি বলেন, অর্থনীতিতে সর্বাধিক কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতির ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক সুদের হার আস্তে আস্তে ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রায় ফিরিয়ে আনা হবে।
প্রণোদনা,করোনা অর্থনীতি,যুক্তরাষ্ট্র
চলতি বছরেই প্রণোদনা প্রত্যাহার শুরু হতে পারে
economy
https://www.ajkerpatrika.com/82794/%E0%A6%9A%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4
চীনে ১১৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড তুষারপাত
উত্তর-পূর্ব চীনের শেনিয়াং রাজ্যে গত রোববার থেকে বিপুল পরিমাণে তুষারপাত হচ্ছে। এ ধরনের তুষারপাত ১৯০৫ সালের পর দেখা যায়নি। রেকর্ড তুষারপাতে স্বাভাবিক জনজীবনের ছন্দপতন হয়েছে। এ পর্যন্ত একজনের মৃত্যু এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ তুষারপাতে সরাসরি ভোগান্তিতে পড়েছে বলে চীনা পত্রিকা সিনহুয়ার বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।তথ্যমতে, ইনার মঙ্গোলিয়া এবং উত্তর-পূর্ব চীনের ২৭টি অঞ্চলে 'লাল' সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। কোনো কোনো স্থানের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। ঘর গরম রাখতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে বিদ্যুৎ সংকট চলছে। যেসব স্থানে বিদ্যুৎ সংকট প্রবল, তার মধ্যে উত্তর-পূর্ব চীন অন্যতম। তাই তুষারপাতে অব্যাহত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
চীন,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিশ্ব
চীনে ১১৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড তুষারপাত। টুইটার
national
https://www.ajkerpatrika.com/151724/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF
মাত্রাতিরিক্ত লবণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের কারণে দেশে হৃদ্রোগসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্তের হার বাড়ছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে দৈনিক প্রয়োজনের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ লবণ গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে। এদিকে মানদণ্ড না থাকায় দেশের বেশির ভাগ প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবারে ইচ্ছামতো লবণ ব্যবহার করছেন উৎপাদনকারীরা। এসব খাবার খেয়ে অজান্তেই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে ভোক্তাদের।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রক্রিয়াজাতকৃত এবং প্যাকেটজাত ৬১৮টি খাদ্যদ্রব্যের মান প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মধ্যে মাত্র তিনটিতে লবণ ব্যবহারের মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাকি খাবারগুলোতে কী পরিমাণে লবণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়নি। তাই উৎপাদকদেরও খাবারের প্যাকেটে লবণের মাত্রা উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা নেই। তাই কোন খাবারে কী পরিমাণ লবণ ব্যবহৃত হচ্ছে, তা জানতে পারছেন না ভোক্তারা।বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, চিপস-ক্রেকার্স ও চানাচুরে লবণ ব্যবহারের নির্ধারিত মাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে চানাচুরে ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং চিপস ও ক্রেকার্সে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ লবণ ব্যবহারের বিধান রয়েছে। অন্যান্য খাবারে স্বাদমতো লবণ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ইপিডমিওলজি ও রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রসেসড (প্রক্রিয়াজাতকৃত) খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণের ব্যবহার করা হচ্ছে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের কারণে অকালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই এসব খাবারে যেন মাত্রাতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা না হয়, সে জন্য বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে (বিএফএসএ) দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।এ ব্যাপারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খাদ্যের মানে লবণ কমবেশি থাকা না-থাকার বিষয়ে আইন বা বিধি-প্রবিধি কোথাও উল্লেখ নেই। এ-সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনাও নেই।বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মান প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য সংস্থার বিধিবিধান মেনে নেওয়ার নির্দেশনা তাদের পক্ষ থেকে রয়েছে। তবে বিএসটিআইয়ের আরেক কর্মকর্তা জানান, মান প্রণয়নের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন। অনেক মানেই লবণের পরিমাণ বলা আছে 'স্বাদমতো।' কাজেই লবণ কমবেশি মূলত স্বাদের ওপর নির্ভরশীল।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে দুই গ্রামের বেশি ও পাঁচ গ্রামের কম পরিমাণ লবণ খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ পরিচালিত এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মানুষের লবণ গ্রহণের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৩ গ্রাম। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে লবণ ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৩ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৫ গ্রাম। আর গ্রামাঞ্চলের পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৭ গ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ১ গ্রাম। অর্থাৎ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে লবণ গ্রহণের প্রবণতা রয়েছে।
স্বাস্থ্য টিপস,খাবার,ছাপা সংস্করণ,শেষ পাতা,হৃদরোগ
মাত্রাতিরিক্ত লবণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
national
https://samakal.com/whole-country/article/17111115/রাবির-অপহৃত-ছাত্রীকে-উদ্ধারের-দাবিতে-উপাচার্যের-বাসভবন-ঘেরাও
রাবির 'অপহৃত' ছাত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগে 'অপহৃত' ছাত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলগুলো (পশ্চিমপাড়া) থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা ও অপহৃত ছাত্রীর উদ্ধার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।এসময় ছাত্রীরা বলেন, 'আজ আমাদের বান্ধবি অপহৃত হয়েছেন। কাল আমি বা অন্য কেউ অপহৃত হবে না তার গ্যারান্টি কি? বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি তাহলে শিক্ষার্থীদের কি নিরাপত্তা প্রদান করছেন? আমাদের দাবি অতি দ্রুত আমাদের বান্ধবিকে খুঁজে বের করা হোক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।'আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনা শোনার পর থেকেই তৎপরতার সাথে কাজ করছে। যদিও এটা পারিবারিক ব্যাপার তারপরও পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কথা বলে ইতিমধ্যে সব জায়গা বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুততর সময়ের মধ্যেই ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।'পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অপহৃত শিক্ষার্থীর বাবা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'এমনভাবে অপহরণের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন। আমরা তাদের উপরই ভরসা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমার মেয়েকে ফিরে পাবো।'তবে উপাচার্য এবং অপহৃত শিক্ষার্থীর বাবার আশ্বাসের পরেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। তারা বিকেল ৫টায় অপহৃত ছাত্রীর উদ্ধারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দু'ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় আরো বৃহৎ আন্দোলন করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।এর আগে শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য তাপসী রাবেয়া হল থেকে তার দুই বান্ধবীসহ বের হন ওই ছাত্রী। পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে পৌঁছুলে তিন যুবক ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায় তারা। এসময় ওই দুই শিক্ষার্থী চিৎকার করলে হল থেকে কিছু শিক্ষার্থী বের হয়ে আসেন। ততক্ষণে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।অপহৃত শিক্ষার্থীর সাথে থাকা দুই সহপাঠী জানান, কথা কাটাকাটির বিষয় শুনে মনে হয়েছে তারা পূর্ব পরিচিত।রাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ''আমরা জেনেছি গত বছরের ডিসেম্বরে ওই মেয়ের বিয়ে হয়। দুই মাস আগে সে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। তবে তার স্বামী ডিভোর্স চাচ্ছে না বলে আজ সকালে দেখা করতে আসে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে নিয়ে যায় সে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য আমি পুলিশকে জানিয়েছি।'মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছেন তারা স্বামী-স্ত্রী। তার সাবেক স্বামীই নাকি তাকে নিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছে তাদের খোঁজাখুঁজি করতে। আমরা সব জায়গায় খবর দিয়েছি।'এদিকে, ছাত্রী অপহরণ হলেও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি। সকাল ৯টা থেকেই পরীক্ষা শুরু হয়।এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, "পরীক্ষা দিতে আসার সময় তার 'স্বামী' এভাবে তাকে তুলে নিয়ে গেছে বিষয়টি খুব দুঃখজনক। এমন সমস্যার বিষয়টি আগে থেকে আমাদের জানানো হলে আমরা তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতাম।"তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জন্য বাকি ৯৯ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা স্থগিত করা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। কেন না সে সামনের বছর আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন।'
রাবি
রাবির অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা
national
https://www.prothomalo.com/world/pakistan/পাকিস্তানের-রাষ্ট্রীয়-বিষয়ে-সুপ্রিম-কোর্ট-হস্তক্ষেপ-করবেন-না
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবেন না
রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতির মতো নীতিগত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির খারিজ করে দেওয়ার বৈধতার বিষয়টি নিয়েই কেবল সিদ্ধান্ত দেবেন সর্বোচ্চ আদালত। খবর ডনের। অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার শুনানিতে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) কৌঁসুলি মাকদুম আলী খানের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। অনাস্থা প্রস্তাবকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার উৎখাতে 'বিদেশি ষড়যন্ত্রের' অংশ এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যা দিয়ে তা নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। অনাস্থা প্রস্তাব নাকচের পর এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) নোটিশ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর এ বিষয়ে শুনানিতে তাঁর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়। গতকালের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেন, নীতিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না আদালত। তাঁরা কেবল ডেপুটি স্পিকারের রুলিংয়ের ওপরই গুরুত্ব দেবেন। এর আগে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে গোয়েন্দাপ্রধান থেকে রুদ্ধদ্বার ব্রিফিং নিতে সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি প্রস্তাব দেন পিএমএল-এনের কৌঁসুলি। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এখন আমরা আইন ও সংবিধানের বিষয়টি দেখছি। আমরা কেবল এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা দেখতে চাইছি, ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া রুলিং সর্বোচ্চ আদালত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন কি না।' রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতির মতো নীতিগত বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করতে চান না জানিয়ে উমর আতা বান্দিয়াল বলেন, 'আমরা নীতিগত বিষয়ে জড়াতে চাই না।' আদালত কেবল সাংবিধানিক বিষয়টি দেখতে চান বলে জানান বিচারপতি ইজাজুল আহসানও। গতকালের শুনানিতে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের কার্যবিবরণীও চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে গত রোববার জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার 'অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন। এর পরপরই প্রেসিডেন্টকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দেন ইমরান খান। পুরো প্রক্রিয়া 'অসাংবিধানিক' দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা।
পাকিস্তান,আদালত,রাজনীতি,ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল
international
https://www.ajkerpatrika.com/142855/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A7
অবাধে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে শতকোটি টাকার বাঁধ
পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে নির্মাণ করা স্পার বাঁধের ওপর দিয়ে বিকট শব্দে চলাচল করছে মাটিভর্তি ট্রাক্টর। পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরে খননযন্ত্র বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। সেই মাটি বহনে ব্যবহার করা ৩০-৩২টি ট্রাক্টর দাপিয়ে চলছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তীররক্ষা বাঁধটি।গত শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের পদ্মার দুর্গম চর থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। চরের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্রাক্টরে করে। পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ইটভাটায় যাচ্ছে এসব মাটি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁধ নির্মাণ করায় নদীর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হয়। এলাকায় চর জেগে ওঠে। বিস্তীর্ণ চরে চাষিরা ধান, গম, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেন। কিন্তু মাটিখেকোরা ১৮-২০ ফুট গভীর করে চরের মাটি কেটে নিচ্ছেন। এতে পাড় ভেঙে নদী এগিয়ে আসছে জনবসতির দিকে।কথা হলে ট্রাক্টরচালক ইফাদ, আলী, মাসুদ, বাবু ও শামীম জানান, প্রতিদিন তাঁরা ১০-১২টি গাড়িতে মাটি বহন করেন। স্পার বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচল করে এসব বাহন। ট্রাক্টরে মাটি বহনের কারণে বেড়িবাঁধ ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, শিবগঞ্জের ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পদ্মা নদীর ৫ নম্বর বাঁধ এলাকায় খননযন্ত্র বসিয়ে মাটি কাটছেন রামচন্দ্রপুরহাট এলাকার জিয়ারুল (জিয়া মেকার) ও মালেক। এ ছাড়া সদর উপজেলার শাহিন, শফিক, তাবজুল, সুমনসহ অনেকেই মাটির কারবারে জড়িত।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার যন্ত্র পুড়িয়ে দেন। এরপর থেকে বন্ধ ছিল মাটি কাটা। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে শুরু হয়েছে মাটি কাটার মহোৎসব।গত বুধবার সরেজমিন সুন্দরপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন মাটি কাটা বন্ধ করেন। তবে শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নে মাটি কাটা বন্ধ হয়নি।খাইরুল ইসলাম নামে এক কৃষক জানান, তাঁর জমির পাশে ২০ ফুট গভীর করে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে জমির পাড় ভেঙে যাচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ার তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না।শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাকিব আল রাব্বি বলেন, 'কোথায় কোথায় মাটি কাটা হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,শিবগঞ্জ,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,রাজশাহী ৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নে পদ্মার দুর্গম চর থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/01/25/%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%a1-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%8f/
'বলিউড দুর্নীতিগ্রস্ত' এ কি বললেন কঙ্গনা
মুখ খুললেই বিতর্ক! বলিউডে বহুদিন আগেই নিজের নামের পাশে বিতর্ক রানী শব্দটাকে জুড়ে দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। আর এখন তো দেশে, বিদেশে ঘটা যে কোনো কাণ্ড নিয়েই নানা সময়ে নানা মন্তব্য করতে দেখা যায় কঙ্গনাকে। যার ফলে মাঝে মধ্যেই বিতর্কের একেবারে মধ্যমণি হয়ে যান বলিউডের এই মণিকর্ণিকা। কখনো করণ জোহরের সঙ্গে নেপোটিজম বিতর্ক, কখনো সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য নিয়ে বলিউডকে কাঠগড়ায় দাড় করানো। কখনো আবার দেশের রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে নানা মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কঙ্গনা। তবে এবার দক্ষিণী ছবি, দক্ষিণী অভিনেতাদের প্রশংসা করে বলিউডকে একহাত নিলেন অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বলিউডকে দুনীর্তিগ্রস্ত বলে সম্বোধন করেন কঙ্গনা। সঙ্গে পরিষ্কার ভাবেই জানান, ঠিক কেন, দক্ষিণী ছবির বিষয় ও দক্ষিণী তারকারা এত সফল! তা কী লিখলেন কঙ্গনা রানাওয়াত? কঙ্গনা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আল্লু অর্জুনের 'পুষ্পা' ও 'কেজিএফে'র ছবির দুইটা ছবি পোস্ট করে লিখলেন, 'এই তিন কারণেই দক্ষিণী ছবি ও দক্ষিণী তারকারা এত সফল। ১. দক্ষিণী ছবি একেবারেই ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ২.দক্ষিণী মানুষেরা নিজের পরিবার, সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। এ ব্যাপারে তারা একেবারেই পাশ্চত্য কায়দাকে অনুসরণ করে না। ৩. দক্ষিণী কলাকুশলীদের কাজের প্রতি নিষ্ঠা হিংসা করার মতো। সবচেয়ে বড় কথা, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউডকে পাত্তা দেয় না। বলিউডের নোংরামি থেকে নিজেদেরকে দূরেই রাখে।' দক্ষিণী ছবি 'পুষ্পা' বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। করোনাকালেও এই ছবির ব্যবসা রীতিমতো চমকে দিয়েছে ফিল্ম সমালোচকদের। হিসেব বলছে, পুষ্পার রেকর্ড ব্যবসার কারণেই নাকি রণবীরের ৮৩ ছবি বক্স অফিসে টিকতে পারেনি। বলিউডের কাঁধে যে নি:শ্বাস ফেলছে দক্ষিণী ছবি তা যেন ফের প্রমাণ করল পুষ্পা। গত বছরই মুক্তি পেয়েছে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ছবি 'থালাইভি'। ছবিটি মুক্তি পায় তামিল ও হিন্দি ভাষায়। দক্ষিণেও এই ছবিটি ভালই ব্যবসা করে। আপাতত, কঙ্গনা ব্যস্ত রয়েছেন 'ধাকড়' ছবির প্রচারে। অন্যদিকে শুটিং চলছে তার 'তেজস' ছবিরও। শুধু অভিনয় নয়, প্রযোজক হিসেবেও কঙ্গনার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছবি। কঙ্গনার এই পোস্ট দেখে নিন্দুকেরা অবশ্য বলছেন, বলিউড থেকে বেরিয়ে কঙ্গনার চোখ এখন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিকে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
কঙ্গনা রানাউত,বলিউড
কঙ্গনা রানাউত।
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/93024/%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
যমুনার বাম তীর রক্ষায় বিক্ষোভ মানববন্ধন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। যমুনা নদীর বামতীরে পাইলিং ঘেঁষে খনন কাজের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার বিকেলে শশারিয়াবাড়ি খানপাড়া এলাকায় তাঁরা এই মানববন্ধন করেন।জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলার উলিয়া থেকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট (ফুটানি বাজার) পর্যন্ত যমুনার বামতীর রক্ষায় ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলিং করা হয়।স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরে পাইলিং করার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চর জেগে উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই পাইলিং ঘেঁষে দেওয়ানগঞ্জের দাসপাড়ার পশ্চিম পাশে বিআইডব্লিউটিএ এর কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রেজার দিয়ে যমুনায় জেগে ওঠা চর খনন করছে। এতে বর্ষার সময় উজান থেকে নেমে আসা স্রোতে যমুনার বামতীর রক্ষার ওই পাইলিং-এ সরাসরি আঘাত হেনে পাইলিং ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।গত শুক্রবার দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ড্রেজারের নিকট একযোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো এরশাদ হোসেন। এ সময় পাথর্শী ইউনিয়নর সাবেক চেয়ারম্যান মো. এরশাদ হোসেন বলেন, বিআইডব্লিউটিএ-এর কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'বঙ্গ ড্রেজার লি. যমুনায় ড্রেজিংকৃত চ্যানেল খনন না করে নতুন করে পাইলিং বরাবর ড্রেজিং করে সংক্ষিপ্ত নৌ-রুট তৈরি করছে। এতে এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা আবারও যমুনার ভাঙনের কবলে পড়বে। বিআইডব্লিউটিএ-এর ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়দানকারী মো. নুরুল ইসলাম জানান, নীতিমালা অনুযায়ী আমরা খনন কাজ পরিচালনা করছি।
জামালপুর,বিক্ষোভ,ময়মনসিংহ বিভাগ,মানববন্ধন,যমুনা নদী,দেওয়ানগঞ্জ,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,শেরপুর নেত্রকোনা জামালপুর
দেওয়ানগঞ্জে যমুনা নদীর বামতীরে পাইলিং ঘেঁষে খননকাজের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার বিকেলে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।
national
https://www.ajkerpatrika.com/152733/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%C2%A0
মারিউপোলের শিশু হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া
ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে একটি শিশু হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। আজ বুধবার শহরটির কাউন্সিলের পক্ষ থেকে একটি ফেসবুক পোস্টে এমনটি দাবি করা হয়েছে।একটি বিবৃতিতে মারিউপোল শহরের কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়ার দখলদার বাহিনী শিশুদের হাসপাতালে বেশ কয়েকটি বোমা ফেলেছে। ধ্বংসযজ্ঞ অনেক বড়।এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি মারিউপোল শহরের কাউন্সিল। তবে আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান পাভলো কিরিলেনকো ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আহতদের কাছের একটি হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।এই হামলার সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিমিত্রো গুরিনও বিবিসির কাছে এই হামলার কথা জানিয়েছেন।
ইউরোপ,রাশিয়া,বিমান হামলা,ইউক্রেন,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট
রাশিয়ার বিমান হামলা।
international
https://www.dailynayadiganta.com/Incident-accident/323934/নির্মাণাধীন-ভবন-থেকে-পড়ে-ধানমণ্ডিতে-নিহত-৩
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ধানমণ্ডিতে নিহত ৩
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে গিয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ধানমণ্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালের পাশে ৫ নম্বর রোডে নির্মাণাধীন কানকর্ড টাওয়ারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মো. সাইদুল (৩৫), মো. মোখলেস (২০) ও মনিরুল (৪৫)। পরিদর্শক পারভেজ বলেন, ওই ভবনের ১৩ তলায় প্লাস্টারের কাজ করার সময় মাচা ছিঁড়ে নিচে পড়ে যান ওই তিনজন। সহকর্মীরা মোখলেস ও মনিরুলকে ঢাকা মেডিকেলে ও সাইদুলকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার বিষয়ে ভবন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি আরো পড়ুন :প্রেসক্লাবের সামনে বাসচাপায় নারী নিহতনয়া দিগন্ত অনলাইনরাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসের চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সমিরন বেগম (৫০) থাকেন কেরানীগঞ্জের শুভাড্ডায়। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। শাহবাগ থানার এসআই মো. আফতাব হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে মোহাম্মদপুরগামী মিডলাইন পরিবহনের একটি বাস সমিরনকে চাপা দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সমিরনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এসআই আফতাব বলেন, প্রেসক্লাবে সামনে চার পাঁচটি যাত্রীবাহী বাস ওঠানামার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল তখন। এর কোনো একটি বাস থেকে নামার পরপরই সমিরন দুর্ঘটনায় পড়েন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মিডলাইন পরিবহনের চালক তরিকুলকে আটক করেছে এবং বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। সমিরনের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার বড় বোন সালমা বেগম। তিনি জানান কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে হাই কোর্টের মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে প্রেসক্লাবে এসেছিলেন তার বোন। প্রতি শুক্রবারই তিনি ওই মসজিদে নামাজ পড়তেন।
null
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ধানমণ্ডিতে নিহত ৩
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2019/08/26/451487
যুবলীগ কর্মী হত্যার চারদিনেও গ্রেফতার হয়নি খুনি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যুবলীগ কর্মী নঈম উদ্দিন পল্টু (৩৫) হত্যা মামলার চার দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। ইতিমধ্যেই একই দলের সাত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করছে তারা। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, গত শুক্রবার উপজেলার দর্শনায় যুবলীগ কর্মী পল্টুকে ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পল্টুর ভাই মঈন উদ্দিন মন্টু বাদী হয়ে শনিবার দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামি করা হয়, দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসমান আলী তোতা, সহ-সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, যুবলীগ কর্মী দিপু রেজা, সাইফুল ইসলাম বাংলা, মো. আলম, মো. সোহেল, মো. আশিকসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন। বিডি প্রতিদিন/হিমেল
null
নিহত যুবলীগ কর্মী নঈম উদ্দিন পল্টু
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/06/23/662689
বাহাউদ্দিন নাছিমের সুস্থতা কামনায় নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দোয়া
করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সুস্থতা কামনায় নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালেস্বেচ্ছাসেবক লীগ নাটোর সদর উপজেলা শাখার আয়োজনেশহরের কান্দিভিটুয়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময়জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহম্মেদ সেলিমের নিজস্ব উদ্যোগে করোনায় কর্মহীন শতাধিক দিনমজুরের মাঝেআর্থিক অনুদান প্রদানের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলেদ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সুস্থতা কামনা করা হয়। বিডি প্রতিদিন/এমআই
বাহাউদ্দিন, নাছিমের, সুস্থতা, কামনায়, নাটোরে, স্বেচ্ছাসেবক, লীগের, দোয়া
বাহাউদ্দিন নাছিমের সুস্থতা কামনায় নাটোরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দোয়া।
national
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/12/08/719028
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেলেন ইমন
চিত্রনায়ক ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে র্যাব। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে ইমন র্যাব সদর দপ্তর থেকে বের হন। এর আগে, ভাইরাল অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার পর তিনি র্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছান। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপটি কিভাবে ফাঁস হলো মূলত সেই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এ ধরনের বক্তব্য ও মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর আব্দুল্লাহ
জিজ্ঞাসাবাদ, ইমন, র‍্যাব
ইমন।
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/16602/%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%9F-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%89%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%C2%A0
রুট যেন উইকেটে আসেন 'শিকড়' গজাতে!
ভারতের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে জো রুট উইকেটে এসে তৃতীয় দিনও কাটিয়ে দিয়েছেন কী অবলীলায়। কাল দিন শেষে ইংল্যান্ড যখন ৩৯১ রানে অলআউট, রুট তখনো অপরাজিত ১৮০ রানে। শুরুতে উইকেটে এসে কিছুটা সময় নিয়ে একবার সেট হয়ে গেলে রুটের যেন 'শিকড়' গজাতে থাকে উইকেটে!ইংল্যান্ড অলআউট না হলে রুট হয়তো ডাবল সেঞ্চুরিই করে ফেলতেন! তবে ১৮০ রানের এই ইনিংস খেলার পথেই গড়েছেন একাধিক কীর্তি। সব মিলিয়ে ১৬তম আর দ্বিতীয় ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন ৯ হাজার রানের মাইলফলক। ১২,৪৭২ রান নিয়ে রুটের সামনে আছেন শুধু অ্যালিস্টার কুক।কাল ২২তম টেস্ট সেঞ্চুরি করা রুট আরেকটি সেঞ্চুরি করলে সাদা পোশাকে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতকের মালিক হবেন। টেস্টে ২৩ সেঞ্চুরি করা সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনকে ছাড়িয়ে যাওয়া শুধুই সময়ের ব্যাপার। শুধু ৩৩ সেঞ্চুরি নিয়ে রুটের সামনে তখন থাকবেন কুক।১৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে রুট গড়েছেন আরও একটি কীর্তি। এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ৫টি সেঞ্চুরি করা সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান ইয়ান বেলকে ছুঁয়েছেন। চলতি বছরে দারুণ ফর্মে আছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ৬৯.১১ গড়ে এখন পর্যন্ত ১০ টেস্টে ১৯ ইনিংসে করেছেন ১২৪৪ রান। এ বছর কোনো টেস্টেই শূন্য রানে আউট হননি। সবশেষ নটিংহাম টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ফিফটির পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন সেঞ্চুরি।নটিংহাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৪ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রান করে টেস্ট বাঁচিয়েছিলেন রুট। নটিংহামে যেখানে শেষ করেছিলেন, লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে শুরুটা করলেন সেখান থেকেই। প্রথম ইনিংসে রুটের অপরাজিত ১৮০ রানের সুবাদেই ২৭ রানের লিড নিয়েছে ইংল্যান্ড। আজ চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে ভারত। এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারতের ইনিংস থেমেছিল ৩৬৪ রানে।
ভারত,ক্রিকেট,ইংল্যান্ড,লর্ডস,ইংল্যান্ড ক্রিকেট,ভারতীয় ক্রিকেট
লর্ডস টেস্টে অপরাজিত ১৮০ রানের ইনিংস খেলার পথে জো রুট। টুইটার
sports
https://www.bhorerkagoj.com/2021/02/20/%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%96%e0%a6%a8%e0%a6%87-%e0%a6%9f%e0%a6%bf/
দরিদ্র দেশগুলোতে এখনই টিকা পাঠানো উচিত: ডব্লিউটিও
উদ্বৃত্তের জন্য অপেক্ষা না করে যুক্তরাজ্যের এখনই দরিদ্র, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রধান এনগোজি ওকোঞ্জো-ইওয়েলা। যুক্তরাজ্য তার উদ্বৃত্ত টিকার বেশিরভাগই দরিদ্র দেশগুলোতে দান করে দেবে- প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এমন আশ্বাসের পর এনকোজি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। শুক্রবার শিল্পোন্নত ৭টি দেশের জোট জি৭ এর নেতারাও কোভিড-১৯ বিষয়ে সহযোগিতার মাত্রা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা আসছে মাসগুলোতে বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের মধ্যে ১৩০ কোটি ডোজ টিকা বিতরণের লক্ষ্যে কাজ করা কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন শেয়ারিং উদ্যোগে চাঁদা বাড়িয়ে দিতেও সম্মত হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উদ্বৃত্ত টিকা দান করার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পরিকল্পনাকে 'স্বাগত' জানিয়ে ওকোঞ্জো-ইওয়েলা এক্ষেত্রে দেরির ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। "যখন অন্য মানুষজন ভুগছে, তখন উদ্বৃত্তের জন্য অপেক্ষা করা উচিত হবে বলে মনে করি না আমি। আমার মনে হয়, যদি কিছু দান করতে হয়, তা যেন এখনই করা হয়," বিবিসি রেডিও ফোরের এক অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন ডব্লিউটিও'র এ প্রধা
টিকা,ডব্লিউটিও,দরিদ্র দেশ
করোনা-ভ্যাকসিন
international
https://www.bd-pratidin.com/sports/2021/06/20/661689
বাবাকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট কোহলির
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল চলাকালীন বাবা দিবস নিয়ে নেটমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট করলেন বিরাট কোহলি। টুইট করে ভারত অধিনায়ক লেখেন, 'ঈশ্বর আমাকে যা যা ভাল উপহার দিয়েছেন তার মধ্যে সেরা হলো বাবা হওয়ার অনুভূতি। এই আনন্দ আমার কাছে আশীর্বাদ। তবে এমন দিনে আমি আমার বাবার অভাব বোধ করি। আমি আমার বাবার সঙ্গে কাটানো সময় ও স্মৃতিগুলোকে উপভোগ করি। ২০০৬ সালে বাবাকে হারান ভারত অধিনায়ক। ৫৪ বছর বয়সে মারা যান তার বাবা। বাবার মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন ছিল তার পক্ষে। কারণ বাবার সঙ্গে বন্ধুর মতো সময় কাটাতেন বিরাট। বিডি প্রতিদিন/এমআই
বাবাকে, নিয়ে, আবেগঘন, পোস্ট, কোহলির
বিরাট কোহলি।
sports
https://samakal.com/bangladesh/article/210562578/ফের-দুর্ভোগে-প্রবাসীরা-কোয়ারেন্টাইনের-টাকা-জোগাড়-করছেন-ধারদেনায়
ফের দুর্ভোগে প্রবাসীরা, কোয়ারেন্টাইনের টাকা জোগাড় করছেন ধার-দেনায়
দুর্ভোগ, ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না প্রবাসী কর্মীদের। করোনাকালে বিমান চলাচল ব্যহত হয়ে কর্মস্থলে ফেরা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। একে তো বিমানের টিকিটের বাড়তি দাম, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশ গিয়ে কোয়ারেন্টানে থাকার খরচের বোঝা। সবমিলিয়ে প্রায় লাখ টাকা বাড়তি লাগছে জনপ্রতি। এ টাকা অনেক প্রবাসী জোগাড় করছেন ধার-দেনা করে। সৌদি আবর সরকার নিয়ম করেছে, করোনা টিকার দুই ডোজ নেওয়া না থাকলে সেখানে গিয়ে সাতদিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে থাকতে হবে। এতে ৫৫ থেকে ৬৬ হাজার টাকা টাকা লাগছে। করোনা পরীক্ষা, লকডাউনে ঢাকায় আসা যাওয়ায়ও লাগছে বাড়তি খরচ। ছুটিতে এসে আটকেপড়া কর্মীরা বলছেন- দেশে কর্মহীন বসে থেকে সঞ্চিত টাকা শেষ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সৌদিয়া এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে হাজারখানেক প্রবাসী লাইন ধরেন ফ্লাইটের টিকিট ও কোয়ারেন্টাইনের হোটেলে বুকিং নিশ্চিত করতে। তাদের একজন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের আবদুল মান্নান। তিনি গত ৩ নভেম্বর ছুটিতে সৌদির রিয়াদ থেকে দেশে এসেছেন রিটার্ন টিকিট নিয়ে। রোববার দিবাগত রাতে সাড়ে ১২টায় তার ফিরতি ফ্লাইট। শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তিনি কোয়ারেন্টাইনের হোটেল বুকিং করতে পারেননি। সৌদি সরকারের কোয়ারেন্টাইন নিয়মানুযায়ী, যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এয়ারলাইনসের ভাড়া করা হোটেলে। ঢাকা থেকে রিয়াদের যাত্রীদের ৬৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন বাবদ। এ টাকার পুরোটাই যাচ্ছে কর্মীর পকেট থেকে। ২১ বছর ধরে সৌদিতে থাকা আবদুল মান্নান সমকালকে জানান, করোনার আগে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় দেশে যাওয়া করতেন। এবার লেগেছে ৮৫ হাজার টাকা। কোয়ারেন্টাইনের জন্য দিতে হবে আরও ৬৬ হাজার টাকা। শনিবার ভোরে তিনি কুমিল্লা থেকে মাইক্রোবাসে ঢাকার সাইনবোর্ড আসেন। সেখান থেকে সিএনজি অটোরিকশায় সোনারগাঁও হোটেল। সব মিলিয়ে দুই হাজার টাকা লেগেছে। করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন আড়াই হাজার টাকায়। টিকিটের বাড়তি টাকা, কোয়ারেন্টাইনসহ সব মিলিয়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। সাড়ে পাঁচ মাস আগে দেশে এসে বাড়ি করার কাজ করেন তিনি। তাতে সব সঞ্চয় শেষ। তিনজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে কোয়ারেন্টাইনের টাকা জোগাড় করেছেন। বেশি সঙ্কটে পড়েছেন নতুন কর্মীরা। পুরনো কর্মীরা দেশে এসেছেন রিটার্ন টিকিট নিয়ে। তাদের টিকিটের জন্য নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে না। কিন্তু নতুন কর্মীদের ওয়ানওয়ে টিকিটে লাখ টাকা পর্যন্ত লাগছে। এমন একজন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মো. রুবেল। তিনি সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ২৩ মে দিবাগত রাতের ফ্লাইটের টিকিট পেয়েছেন। ঢাকা-রিয়াদের ওয়ানওয়ে টিকিটের জন্য লেগেছে ৮৫ হাজার টাকা। কোয়ারেন্টাইনের জন্য লাগছে আরও ৬৬ হাজার। প্রায় সোয়া লাখ টাকার মতো বাড়তি লাগছে। রুবেল চারদিন ধরে ঢাকায় পড়ে আছেন ফ্লাইট ও কোয়ারেন্টাইনের হোটেল বুকিং নিশ্চিত করতে। তিনি বলেছেন, সাড়ে তিন লাখ টাকায় তার যাওয়ার কথা ছিল। এখন তা পাঁচ লাখ ছুঁই ছুঁই।
প্রবাসী,দুর্ভোগ,বিমান চলাচল,করোনাভাইরাস,কোয়ারেন্টাইন
সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে টিকিটের জন্য ভিড়
national
https://samakal.com/whole-country/article/200315956/হত্যার-লোমহর্ষক-বর্ণনা-দিল-আরেক-শিশু
শিশুটিকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিল আরেক শিশু
পাবনায় শিশু সুমনা হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলো ১১ বছর বয়সের আরেক শিশু নাঈম। নাঈম সোনাহারা এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র এবং একই গ্রামের এরশাদ হোসেনের ছেলে। গত মঙ্গলবার পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের সজিব হোসেনের কনিষ্ঠ মেয়ে সুমনার (৪) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন এরশাদ হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী নারগিস (৪০) এবং তাদের বড় সন্তান নাঈমকে (১১) থানায় নিয়ে এসে ব্যাপক জেরার মুখে নাঈমসুমনাকে হত্যার কথা স্বীকার করে বুধবার সন্ধ্যায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর থানার ওসি (তদন্ত) জালাল উদ্দীন জানান, সুমনা হত্যার পর নাঈম এবং তার বাবা-মাকে আটক করা হয়। জেরার এক পর্যায়ে নাঈমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। নাঈম তার বর্ণনায় বলে, 'গত শনিবার সকাল ১০টার সময় ইটভাটার কাছে সুমনা ও তার ছোট ভাই আজাদ (৩) খেলছিল। খেলাধুলার এক পর্যায়ে আজাদকে সুমনা ধাক্কা দেয়। এতে নাঈম ক্ষিপ্ত হয়ে সুমনার গলা চেপে ধরে। কিছুক্ষণ পর সুমনা নিস্তেজ হয়ে পড়লে সে তার নাকে হাত দিয়ে দেখে সুমনার শ্বাস আছে কিনা? সুমনার মৃত্যু নিশ্চিত হলে নাঈম তাকে কাঁধে নিয়ে পাশেই ফুপা রবিউলের নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়'। ওই বাড়ির চাবি নাঈমের কাছে থাকায় দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে সুমনার লাশ রাখে। পরবর্তীতে সে স্বাভাবিকভাবেই তার ছোট ভাই ও অন্যদের সঙ্গে আবারও খেলতেথাকে। তবে মাঝে কয়েকবার সে জানালা দিয়ে সুমনার লাশ দেখতে যায় এবং লাশেরঅবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। গত সোমবার বিকেলে আবার দেখতে গেলে লক্ষ্য করে লাশের ওপর মাছি পড়ছে এবং দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ধরা পরার ভয়ে সে তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের মধ্যে থাকা বালিভর্তি বস্তার বালি ফেলে সেটার মধ্যে সুমনার লাশ ভরে। ঘরের সানসেটে রাখা ওয়ারড্রবের একটি ড্রয়ার পেয়ে সেটিতে সুমনার লাশ তুলে ঘরের বারান্দায় নিয়ে আসে। উদ্দেশ্য ছিলো লাশটি পাশের ক্ষেতে ফেলে দেওয়া। কিন্তু ইটভাটার লোকজন কাজ করায় তা সম্ভব হয়নি। ওসি জালাল উদ্দিন সমকাল'কে বলেন, ঘটনা বর্ণনার সময় নাঈম সম্পুর্ন স্বাভাবিক ছিলো, তাকেকোন প্রকার ভীত দেখা যায়নি। তবে সুমনার বাবা সজিব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে নাঈমের বাবা-মাও জড়িত ছিল। তা ছাড়া নাঈমের একার পক্ষে হত্যা করার পর লাশ গুমের অপচেষ্টা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
পাবনা,খুন
নিহত সুমনা
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/03/12/749091
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোনাতলায় জাসদের মানববন্ধন
'খাদ্যদ্রবের দাম কমাও, মানুষ বাঁচাও'-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়ার সোনাতলায় স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌর জাসদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যুব জোট কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.মোঃ হাসান আকবর আফজল (হারুন)। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাসদ উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পৌর জাসদের সভাপতি আবু তাহের খান, সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর আলম ডাল্টন, জাসদ নেতা আবুল কালাম আজাদ, আফজাল হোসেন, শ্রমিক জোট নেতা মো. খাজা মিয়া।
প্রতিবাদ, মানববন্ধন
-
national
https://www.prothomalo.com/world/usa/বাইডেন-ও-সি-চিনের-বৈঠকের-তারিখ-জানাল-হোয়াইট-হাউস
বাইডেন ও সি চিনের বৈঠকের তারিখ জানাল হোয়াইট হাউস
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আগামী সোমবার রাতে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান। খবর এএফপির। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান প্রতিযোগিতা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কীভাবে সামলানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। পাশাপাশি যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের স্বার্থের মিল রয়েছে, সেসব বিষয় নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলাপ করা হবে। জেন সাকি আরও বলেন, বৈঠকে সি চিন পিংয়ের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চীনকে ঘিরে মার্কিন প্রশাসনের উদ্বেগগুলোও স্পষ্ট করা হবে আলোচনায়। নানা ইস্যু নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে করোনার উৎস থেকে শুরু করে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ করার মতো বিষয়গুলো। সবকিছুর মধ্যে মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, সংঘাত এড়াতে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগেই ভালো ফল আসবে। এদিকে আগামী বছর চীনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস। এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভাবা হচ্ছে, ওই কংগ্রেসে নিজের তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি পাকাপোক্ত করবেন সি চিন পিং। এসবের মধ্যে আপাতত শীর্ষ এই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চাইছে চীন। আসন্ন বৈঠক নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বাইডেনকে এটা স্পষ্ট করতে হবে যে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতা চায়, কোনো ধরনের সংঘাত না। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জো বাইডেন ও সি চিন পিংয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেটি ছিল দ্বিতীয়বারের মতো দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলাপ।
জো বাইডেন,চীন,যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
international
https://samakal.com/sports/article/19101425/টেস্টে-শেখ-হাসিনামোদীকে-আমন্ত্রণ
কলকাতা টেস্টে শেখ হাসিনা-মোদিকে আমন্ত্রণ
আগামী নভেম্বরে ভারত সফরে টি-২০ এবং টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওই সিরিজে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে এখনও কোন টেস্ট খেলা হয়নি টাইগারদের। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওই টেস্টও তাই ঐতিহাসিক হতে যাচ্ছে। মুহূর্তটা আরও রাঙিয়ে তুলতে কলকাতা টেস্টেবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবংভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এরই মধ্যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে বলে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একজন মূখপাত্র আইএএনএসকে নিশ্চিত করেছে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে, কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রতিবেশি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দর্শক হিসেবে পাওয়া যাবে। সিটি অব জয় খ্যাত কলকাতা টেস্টে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন কি-না সেটাও দ্রুতই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। বোর্ডের প্রধান হওয়ার জন্য কেবল তিনিই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আগামী ২৩ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচন হবে। সৌরভ গাঙ্গুলির তাই বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়া শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। বোর্ড সভাপতি হলে তিনি বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের আগেই দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার নিজে একজন বাঙালি। ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে তার দায়িত্ব পালন শুরু হবে। সঙ্গে বাংলার মাঠ ইডেন গার্ডেনে হবে ঐতিহাসিক টেস্ট। এটা স্মরণীয় করে রাখতেই দারুণ এই উদ্যোগ নিয়েছেন বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কর্তারা। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনালে মোহালিতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং তৎকালীন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ আগামী ৩ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলবে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলবে ১০ নভেম্বর। দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হবে ১৪ নভেম্বর। এরপর ইডেন গার্ডেনে ২২ থেকে ২৬ নভেম্বর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে বাংলাদেশ।
খেলা,ক্রিকেট,বাংলাদেশ-ভারত,ইডেন গার্ডেন,শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী
: ক্রিকেটমোর
sports
https://www.ajkerpatrika.com/201950/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%83%E0%A6%96-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%AE
বিভ্রান্তি ছড়ানোয় দুঃখ পেয়েছেন তামিম
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অন্তত ছয় মাস দূরে থাকার সিদ্ধান্তের কথা গত জানুয়ারিতে জানিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরই মধ্যে দল গঠনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু ছয় মাস হতে চললেও সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ফেরা-না ফেরা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাননি তামিম।কদিন আগে অবশ্য একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তামিম জানিয়েছিলেন, তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। হয় সংবাদমাধ্যম বলে দেয়, না হয় অন্য কেউ।তামিমের এমন মন্তব্যের পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বোর্ড পরিচালকদের বিপরীত মন্তব্য করতে দেখা যায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বিভ্রান্ত হচ্ছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও।সাকিবের ক্রিকেটজ্ঞান ভালো, বললেন তামিমবিভ্রান্তি দূর করতে তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের শরণ নিয়েছেন তামিম। একটু আগে নিজের স্বীকৃত ফেসবুক পেজে সবকিছু খোলাসা করেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক। লিখেছেন, 'আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথার সূত্র ধরে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বা মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে দেখতে পাচ্ছি। দুই দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে। এখানে বোর্ড যোগাযোগ করেনি বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি-এ রকম কোনো কথা আমি একবারও বলিনি।'দেশসেরা ওপেনার আরও লিখেছেন, 'আমি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেই টি-টোয়েন্টি থেকে ছয় মাসের বিরতি নিয়েছি। এর পরও বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনোই তুলিনি।'চারে ব্যাটিংয়ের প্রশ্নে তামিম বললেন, 'স্টুপিড প্রশ্ন'অনুষ্ঠানে যা বলেছিলেন, তা আবারও সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটার, 'টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে পরিকল্পনা, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (সাংবাদিকেরা) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এত দিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি-না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা।'মানুষ অধৈর্য হয়ে পড়ায়ও দুঃখ পেয়েছেন তামিম, 'সময় হলে সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই জানাব। ছয়য় মাস হতে এখনো দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটা দুঃখজনক।'খেলাসম্পর্কিত আরও পড়ুন:হেঁটেই সোনা জিতলেন ৮০ বছরের বাঙালি বৃদ্ধা'বিশ্বকাপ প্রস্তুতির মঞ্চে' হঠাৎ অচেনা ফ্রান্সরক্ষণেই বেশি গুরুত্ব বাংলাদেশেরআলোচিত দলবদলের পর ব্যর্থ ক্লাব-অধ্যায়৫০টি কোর্ট থাকলেও ৫০ জন টেনিস খেলোয়াড়ও নেইমেসিকে দ্রুত বাড়ি ফিরতে বললেন রোকুজ্জোহালান্ডের পা ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন সুইডিশ ডিফেন্ডার
খেলা,ক্রিকেট,বাংলাদেশ ক্রিকেট,তামিম ইকবাল
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
sports
https://www.ajkerpatrika.com/8428/%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A7%9F%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87
চট্টগ্রামে আক্রান্তের শীর্ষে কম বয়সীরা, মৃত্যুহারে বয়স্করা
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯২৭। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫৫৯ জন; যা এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। কয়েক মাস ধরে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই কম বয়সী। মৃত্যুর হারে বয়স্কদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।সর্বশেষ চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ; যা অন্য বয়সীদের তুলনায় অনেক বেশি। এরপর রয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা। তাদের আক্রান্তের হার প্রায় ২০ শতাংশ।শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে ৯৩৭ জন ছেলেশিশু ও ৬৭৭ জন মেয়েশিশু। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে ২ হাজার ৫১১ ছেলে ও ১ হাজার ৯৪৪ জন মেয়ে। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার প্রায় ২০ শতাংশ। এর মধ্যে তরুণ ৭ হাজার ৯৪৬ আর তরুণী ৩ হাজার ৯৬২।৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এর মধ্যে ১০ হাজার ৩৮ জন যুবক আর ৪ হাজার ৮৪ জন যুবতী। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩৮৩ ও নারী ৩ হাজার ৫১৯ জন। ৫১-৬০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭৯৯ জন বয়স্ক ব্যক্তি ও ৩ হাজার ২৬৫ জন বয়স্ক নারী।এ ছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে বৃদ্ধ ৫ হাজার ৪৪৬ ও বৃদ্ধা ২ হাজার ৮৫৭ জন।পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মৃত্যুহারে সবচেয়ে বেশি ষাটোর্ধ্ব বয়সীরা। তাঁদের মৃত্যুহার ৫৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ এই বয়সীরা ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে ৫৫ জনের বেশি মারা যাচ্ছেন। এরপর রয়েছে ৫১-৬০ বছর বয়সীরা। তাঁদের মৃত্যুহার ২৪ দশমিক ১২ শতাংশ। ৪১-৫০ বছর বয়সীদের মৃত্যুহার ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মৃত্যুহার ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ২১-৩০ বছর বয়সীদের মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। ১১-২০ বছর বয়সীদের মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। শূন্য থেকে দশ বছর বয়সীেদর মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ।চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রব আজকের পত্রিকাকে বলেন, কম বয়সীদের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব বেশি। তারা রাস্তায় বের হয়, বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরিও করে। এ জন্য তাদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি। তাই সব বয়সীদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ বর্তমান করোনাভাইরাসটি দ্রুত ছড়াচ্ছে। অপ্রয়োজনে কোনোভাবেই বাইরে যাওয়া যাবে না।
করোনা,করোনাভাইরাস,চট্টগ্রাম জেলা,মৃত্যু,চট্টগ্রাম বিভাগ,শনাক্ত
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের শীর্ষে কম বয়সীরা।
national
https://www.prothomalo.com/business/bank/কাল-ব্যাংকে-লেনদেন-চলবে-তিনটা-পর্যন্ত
ব্যাংকে আজ লেনদেন তিনটা পর্যন্ত
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চলবে। সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর আগে চাপ বাড়তে পারে, এ কারণে গতকাল রাতে আজকের জন্য ব্যাংক আরও ২ ঘণ্টা বেশি সময় খোলা রাখার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে এ সময়ে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করা যাবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি অর্থ উত্তোলন করা যায়। নিজ ব্যাংকের বুথ ও অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে একই সীমা প্রযোজ্য হবে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে চলাচলে ও কাজে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। ওই বিধিনিষেধ অনুযায়ী ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত খোলা ছিল। গতকাল ব্যাংক চলে বেলা একটা পর্যন্ত। তবে ১৪ এপ্রিল থেকে ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্ত হওয়ায় আজকের জন্য লেনদেনের সময় ২ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও সহকারী মুখপাত্র আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, 'পরিস্থিতি বিবেচনায় মঙ্গলবার লেনদেনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গ্রাহকেরা বেলা তিনটা পর্যন্ত টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারবেন।'
ব্যাংক,বাংলাদেশ ব্যাংক,প্রজ্ঞাপন
ব্যাংকে আজ লেনদেন তিনটা পর্যন্ত
economy
https://samakal.com/whole-country/article/200212819/এসএসসি-পরীক্ষার্থীর-মাথা-ফাটালেন-শিক্ষক
কেন্দ্রেই এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটালেন শিক্ষক
হার্ডবোর্ড ছুঁড়ে মেরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মাথা ফাটিয়ে ফেলেছেন কেন্দ্রে দায়িত্বরত এক শিক্ষক। সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাদারীপুরে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্র সচিব অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাকিং বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন রাকিবুল মৃধাসহ অন্য পরীক্ষার্থীরা। এসময় রাকিবুল মৃধা উত্তরপত্র সম্পূর্ণ করছে না অভিযোগে ওই কক্ষের শিক্ষক পরিদর্শক আবুল হোসেন তার ওপর ক্ষেপে যায়। এক পর্যায়ে রাকিবুলের দিকে শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত হার্ডবোর্ড ছুঁড়ে মারেন। এতে হার্ডবোর্ডের লোহার পাতের আঘাতে রাকিবুলের মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে অন্য শিক্ষকরা দ্রুত এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এতে প্রায় আধ ঘণ্টা পরে ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. হুমায়ন কবির তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেনকে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর অভিবাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। আহত শিক্ষার্থী মাদারীপুর পৌর শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামের জব্বার মৃধার ছেলে। আর অভিযুক্ত শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খন্ডকালিন ইংরেজি শিক্ষক। এই ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, আমি ইচ্ছে করে ওই শিক্ষার্থীকে হার্ডবোর্ড নিক্ষেপ করেনি। ওই ছাত্রকে বারবার বলার পরও উত্তরপত্রের ওয়েমার ঠিক করছিল না। পরে তার হার্ডবোর্ড রাগ হয়ে ছুঁড়ে মারলে মাথা কিছুটা কেটে গেছে। এজন্য আমি আত্মরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। কেন্দ্র সবিচ মো. হুমায়ন কবির বলেন, আমি তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। ওই শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খন্ডকালিন শিক্ষক। তাকে ওই স্কুল থেকেও অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
এসএসসি পরীক্ষা,এসএসসি,মাদারীপুর
মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছে রাকিবুল
national
https://www.dailynayadiganta.com/rangpur/456437/এমপিওভূক্তি-না-হওয়ায়-মাদরাসা-মাঠে-আলু-চাষ-করলেন-শিক্ষকরা
এমপিওভূক্তি না হওয়ায় মাদরাসা মাঠে আলু চাষ করলেন শিক্ষকরা
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ফতেপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করেছেন শিক্ষকরা। প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ বলছেন, এমপিওভুক্তি না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ব্যয়ভার মেটাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার বাবুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভুক্তি না হওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাদ্রাসাটি শহর থেকে দূরে হওয়ায় এখানে গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে। ফলে তাদের অনেক সময় ফরম পূরণ বাবদ টাকা মাদরাসাকেই বহন করতে হয়।' উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, 'মাদরাসা মাঠে আলু চাষের বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' এ প্রসঙ্গে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, 'বিষয়টি আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে জেনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।' এদিকে স্থানীয়রা জানান, মাদরাসা মাঠে আলু চাষ করা হলে এলাকার যুবসমাজ খেলাধুলাসহ মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। মাদরাসা সূত্র মতে, ১৯৯৯ সালে ৭৬ শতাংশ জমি নিয়ে মাদরাসাটির কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০০২ সালে এটি পাঠদানের জন্য অনুমতি পায়। ২০০৬ সালে নবায়ন স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে ওই মাদরাসাটিতে ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারী এবং ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
null
এমপিওভূক্তি না হওয়ায় মাদরাসা মাঠে আলু চাষ
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/10/02/%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a7%ab-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b2/
আইপিএলে ৫ হাজার রানের ক্লাবে রোহিত
আবুধাবিতে বৃহস্পতিবার ৫ হাজার রান থেকে মাত্র ২ রান দূরে থেকে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলতে নামেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের রোহিত শর্মা। ম্যাচে দৃষ্টিনন্দন একটি কাভার ড্রাইভ খেলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে রোহিত নাম লিখান ৫ হাজার রানের ক্লাবে। ম্যাচে রোহিত ৪৫ বলে ৭০ রানের ১ দুর্দান্ত ইংনিস খেলেন। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২ ফিফটিতে তার সংগ্রহ ১৭০ রান। ৫ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখাতে ভারতীয় অনিয়মিত অধিনায়ক রোহিতকে খেলতে হয়েছে ১৯১ ম্যাচ। তার আগে টুর্নামেন্টে দুজন ভারতীয় ক্রিকেটার স্পর্শ করেছেন ৫ হাজার রানের মাইলফলক। রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক সবচেয়ে কম ১৮০ ম্যাচে খেলে এখন পর্যন্ত আইপিএলে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৪৩০ রান করেন। অন্যদিকে পারিবারিক কারণে চলতি আসর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করা সুরেশ রায়না ১৯৩ ম্যাচে করেছেন ৫ হাজার ৩৬৮ রান। এ তিন ক্রিকেটারের পর অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ১২৯ ম্যাচে ৪ হাজার ৭৯৩ রান নিয়ে টুর্নামেন্টের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। এদিকে রোহিতের রেকর্ড গড়ার দিনে দিনের শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রীতি জিন্তার দল। শুরুতে ওপেনার ডি কককে হারালেও রোহিতের ৭০ ও কাইরন পোলার্ডের অপারাজিত ৪৭ রানের ওপর ভর করে ভালো সংগ্রহের দিকে থাকে মুম্বাই। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ১১ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইংনিসের ওপর ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের টার্গেট দেয় প্রতিপক্ষকে। জবাব দিতে নেমে চলতি আইপিএলে দারুণ খেলা লোকেশ রাহুল খুব একটা সুবিধা করতে না পারলে ম্যাচে ছন্দ হারায় প্রীতির দল। দলের বাকি ব্যাটসম্যানরাও নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে না পারলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে পাঞ্জাবের ইংনিস। ফল স্বরূপ ৪৮ রানের জয় পায় মুম্বাই। এ জয়ে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের টপে অবস্থান করছে মুম্বাই। অন্যদিকে ৩ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে পরে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দিল্লি ক্যাপিটাল। উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টে রোহিত এখন পর্যন্ত ৩৮ ফিফটির পাশাপাশি করেছেন ১ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে বিরাটের সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫।
null
রোহিত শর্মা
sports
https://www.bd-pratidin.com/country/2020/11/06/584463
বিশ্বনাথে ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার
সিলেটের বিশ্বনাথে নাজমুল হাসান শিমুল নামের এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিমুল উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আরশ আলীর ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শুক্রবার তাকে সিলেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র জানায়, সরকারি কাজে বাঁধা ও গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় ছাত্রদল নেতা শিমুল এজাহার নামীয় আসামি। তাই ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে আজ শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এসময় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জামী নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত পিকআপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে বিশ্বনাথ থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের ৩৫জনের নাম উল্লেখ করে ও ১২০ জন অজ্ঞাত রেখে থানায় মামলা বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
null
নাজমুল হাসান শিমুল
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/07/19/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/
বিদেশগামীদের বিষয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সরকার নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে সরকার নির্ধারিত ১৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার সনদ নিতে হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণের আগে সরকার নির্ধারিত ১৬ হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠান থেকে করোনাভাইরাসের (নেগেটিভ) সনদ নিতে হবে। রোববার (১৯ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের কিছুসংখ্যক জনশক্তির অবহেলা এবং তথ্য গোপনের ফলে দু-তিনটি দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি আমরা চাই না। মন্ত্রী বলেন, গতকাল ঢাকার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখলাম-ইতালি বিএনপির সাবেক সভাপতির দেশবিরোধী অসত্য বক্তব্যে প্রবাসীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বিএনপি নেতা ইতালির গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশে নাকি ১০ লাখ লোক আক্রান্ত, কোনো চিকিৎসা নেই দেশে। ১০ হাজার মানুষ ইতালির পথে রয়েছে। যারা ইতালি যাচ্ছে তাদের সবার কাছে নাকি ভুয়া রিপোর্ট আছে। 'আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে ছোট করা, লাখ লাখ প্রবাসীকে অস্থিরতায় ফেলে দেয়া এমন অসত্য তথ্য দিয়ে ইতালির গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় সেখানকার প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ। বিএনপি নেতার বক্তব্যের ভিডিও ইতালির লেগা নর্দ দলের নেতা মাতেও সালভিনি তার ফেসবুকে শেয়ার করেন বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে।' সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশে ও বিদেশে যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী তা আবারও প্রমাণ হলো। বৈশ্বিক এই সঙ্কটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে বিএনপি নেতারা দেশবিরোধী অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত। তিনি বলেন, মিথ্যাচারের ঢোলক বাজিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করাই তাদের রাজনীতি? সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি দেশের বিরোধিতায় নেমেছে। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এসব কারণেই দলটি দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে।
আওয়ামী লীগ,কাদের,নতুন,নিয়ম,বিএনপি,বিদেশ
ওবায়দুল কাদের। ।
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/12/30/725804
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, ঘরে বসে যেভাবে জানবেন
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই ফল প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণের উদ্বোধন করবেন তিনি। পরীক্ষার ফলাফল একযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনলাইন ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে। ইন্টারনেটে ://... ওয়েবসাইট ভিজিট করে ফলাফল জানা যাবে। এ ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, পরীক্ষার () নাম এবং বোর্ড সিলেক্ট () করে সাবমিটি বাটনে ( ) ক্লিক করে ফলাফল জানা যাবে। মোবাইল ফোনে ফলাফল জানার উপায়: মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে ফল পাওয়ার জন্য লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ: পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নম্বরে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ: পাঠিয়ে দিন ১৬২২২ নম্বরে। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
এসএসসি, ফল
আজ এসএসসির ফল প্রকাশ, ঘরে বসে যেভাবে জানবেন।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/10/20/%e0%a6%89%e0%a7%8e%e0%a6%b8%e0%a6%ac-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%96%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0/
উৎসব মুখর পরিবেশে মহিপুর ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মৎস্য বন্দর খ্যাত মহিপুর থানা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেলে ৫ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোট গ্রহণ। সুষ্ঠু ও অবাধ নিরেপেক্ষ ভাবে ভোট দিতে পেরে ভোটারা খুশি। ভোটারদের মতে এ নির্বাচন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তবে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন নারী ভোটারা। মহিপুরের মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্র কলেজ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের ৬৫ বছরে বৃদ্ধা রহিমা খাতুন বলেন, বাবারে এইবার ভালভাবেই ভোট দিছি। কোন সমস্যা হয় নাই। মনে করছিলাম ৮ টায় ভোট শুরু অইবে। হেইয়ার লাইগ্যা সকাল সকাল বাড়ি গোনে সেন্টারে আইছি। আইয়া দেহি ৯ টায় ভোট শুরু হইবে। দীর্ঘ লাইনে খাড়াইয়া ভোট দিছি। তবে নিজের ভোট নিজে দিতে পেরে সে খুব খুশি। এই ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আশা আবুল কাশেম বলেন, খুব সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ভোট দিতে পেরেছি। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯ টায় শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। বিরতিহীনভাবে এ ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ ইউনিয়নে মোট ১৪,৭৬৯ জন ভোটার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৫৯৩জন এবং মহিলা ভোটার ৭১৭৬ জন। আর চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ ২ জন প্রার্থী। ৯টি ওয়ার্ডে সাধারন আসনে ১ নারীসহ ৩৫ জন এবং সংরক্ষিত ৩টি নারী আসনের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলু গাজী সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। উপজেলা রিটানিং ও নির্বাচন কর্মকর্তা মো.আ:রশিদ জানান, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন
ইউপি নির্বাচন,মহিপুর
সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন নারী ভোটারা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/02/%e0%a6%85%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4/
অতীত জীবনের জন্য অনুতপ্ত ওয়েন রুনি
সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংলিশ তারকা ফুটবলার ওয়েন রুনি ফুটবলের পাশাপাশি বিখ্যাত বা অখ্যাত ছিলেন মাঠের বাইরের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। নারী ও মদের প্রতি তার নেশার ব্যাপারটি সবারই জানা ছিল। তবে এ দুটি জিনিসের ওপর তার নেশা এতই বেশি হয়ে গিয়েছিল যে তাকে ফেরানোর জন্য হিমশিম খেতে হয়েছিল তৎকালীন সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনকে। বলতে গেলে রুনি এ দুটি জিনিসের জন্য দড়িবিহীন পাগলা ঘোড়া হয়ে গিয়েছিলেন। আর ব্যাপারটি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন রুনিকে ভয়ই পেতে শুরু করেছিলেন, এই ভেবে যে নিজ দলের খেলোয়াড়দের সে মেরে বসবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি সানের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এমন তথ্য জানিয়েছেন ম্যানইউর সাবেক ডাক্তার অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ২০১০ সালে ডাক্তার অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেলের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে রুনির বিষয়টি তোলেন। আর তখনই অ্যালেক্স ফার্গুসন বলেন, রুনির পতিতালয়ে যাওয়া ও মদ্যপান করার বিষয়টি কোনোভাবেই কন্ট্রোল করতে পারছিলেন না। আর নিজের প্রভাব বিস্তার করার জন্য রুনি যে কোনো সময় দলের খেলোয়াড়দের আঘাত করতে পারেন। এ ব্যাপারে ফার্গুসন বলেছিলেন, 'পত্রিকাগুলো রুনি আর পতিতাদের নিয়ে ভরা।' তখন অ্যালেস্টার জিজ্ঞেস করেন, 'তাকে নিয়ে তোমরা কি করবে?' এর জবাবে ফার্গুসন বলেন, 'আমি কি করতে পারি? সেই হলো শেষ ব্যক্তি যে মদপান করে।' এদিকে ফার্গুসনকে শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে হতাশ করেননি রুনি। তারা দুজন মিলে একসঙ্গে পাঁচবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা, তিনবার কারাবাও কাপের শিরোপা ও তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে অসাধারণ একটি ক্যারিয়ার পার করার পর ২০১৭ সালে নিজের কিশোর বয়সের ক্লাব এভারটনে ফিরে আসেন রুনি। আর গত বছর ৩৫ বছর বয়সি রুনি চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব ডার্বিতে যোগ দেন। আর এই ক্লাব থেকেই নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি ঘটান তিনি। বর্তমানে এই ডার্বি ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন রুনি। এদিকে বর্তমানে চার সন্তানের বাবা রুনি তার আগের জীবনের জন্য অনুতপ্ত বলে জানা গেছে। নিজের বর্তমান জীবন ও সাবেক জীবন নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি সানের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দেবেন বলে জানা গেছে।
অতীত জীবনের,অনুতপ্ত,ওয়েন রুনি
স্ত্রীর সঙ্গে ওয়েন রুনি
sports
https://www.ajkerpatrika.com/130992/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A6%A5-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8
মনিরামপুরে রেলপথ পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন
যশোরের বসুন্দিয়া থেকে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবিতে মনিরামপুরে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সামনে 'হৃদয়ে মনিরামপুর' নামের একটি সংগঠন এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মনিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ লিটন, সম্পাদক মোতাহার হোসেন, সাবেক সভাপতি এসএম মজনুর রহমান, অধ্যাপক হোসাইন নজরুল হক, অধ্যাপক বাবুল আকতার, কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী, শিক্ষক সায়ফুল আলম, আয়োজক শামছুজ্জামান, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি নাভারন থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার কাজ অতি দ্রুত শুরু হবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু, বসুন্দিয়া, যশোর, নাভারন হয়ে রেল সাতক্ষীরা যাবে। বসুন্দিয়া থেকে সাতক্ষীরার দূরত্ব হবে ৯২ কিলোমিটার। কিন্তু এই রেলপথটি পরিবর্তন করে বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা নির্মাণ করা হলে বসুন্দিয়া হতে সাতক্ষীরার দূরত্ব হবে মাত্র ৪৯ কিলোমিটার। তখন রেলপথের দূরত্ব কমবে ৪৩ কিলোমিটার।অতিরিক্ত কোনো অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র সমীক্ষা ব্যয়টুকু বেশি হবে। এতে যশোরের সবকটি উপজেলা রেলপথ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। তাই সমাবেশে অবিলম্বে বসুন্দিয়া হতে মনিরামপুর, কেশবপুর, সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
যশোর,মানববন্ধন,রেলপথ,মনিরামপুর,খুলনা
মনিরামপুরে রেলপথ পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন।
national
https://www.bd-pratidin.com/mixter/2021/05/08/647570
মাত্র ২৭ সেকেন্ডে সন্তান জন্ম দিয়ে আলোচনায় তরুণী!
সবচেয়ে কম সময়ে সন্তানের জন্ম দিলেন ব্রিটেনের হ্যাম্পশায়ারের এক তরুণী। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়া থেকে সন্তানের জন্ম দিতে তিনি নিয়েছেন মাত্র ২৭ সেকেন্ড! হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা ওই তরুণীর নাম সফি বাগ। ৩৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা সফির মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। মারাত্মক প্রসব যন্ত্রণা তার ছিল না। সামান্য একটু অস্বস্তি হচ্ছিল শুধু। তলপেটে অতি সামান্য ব্যথা হচ্ছিল। শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছিলেন তিনি। কমোডে বসার পরই তিনি বুঝতে পারেন সন্তান বেরিয়ে আসছে। বিডি প্রতিদিন/কালাম
null
সফি বাগ
miscellaneous
https://www.prothomalo.com/opinion/column/বৈশ্বিক-সন্ত্রাসের-থাবায়-দ্বীপরাষ্ট্র
বৈশ্বিক সন্ত্রাসের থাবায় দ্বীপরাষ্ট্র
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে একাধিক গির্জা এবং হোটেলে আত্মঘাতী হামলায় প্রায় ৩০০ লোক নিহত ও কয়েক শ আহত হওয়ার ঘটনা জাতীয় অথবা ধর্মীয় বিয়োগান্ত ঘটনার চেয়ে বেশি কিছু। আমার মতো শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত যেসব নাগরিক বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন, তাঁদের কাছে এ ঘটনা কতটা হৃদয়বিদারক, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমার মতো হয়তো কেউই শ্রীলঙ্কার মতো দেশে এ ধরনের সিরিজ হামলার কথা কল্পনাতেও আনতে পারেননি।বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক বিভেদ ও সমস্যা সম্পর্কে একটা গড় ধারণা আছে। দেশটিতে তিন দশক ধরে গৃহযুদ্ধ হয়েছে। এই সময়কালে জাতিগত সংঘাত হয়েছে, তামিল টাইগারদের সন্ত্রাসী সংগঠন শত শত আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে। ওই গৃহযুদ্ধের কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে আন্তর্জাতিক স্বার্থ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক পক্ষগুলো তখন দেশটি থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে রেখেছিল। তবে ২০০৯ সালে তামিলবিরোধী অভিযানের মধ্য দিয়ে সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়েছিল।এখন পর্যন্ত যেসব খবর ও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, তামিল কোনো সংগঠন নয়; বরং স্থানীয় ইসলামভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। বোঝা যাচ্ছে, হামলাকারীরা তাদের লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা রেখেছে এবং লক্ষ্যস্থলগুলোর সর্বোচ্চ প্রতীকী গুরুত্ব সম্পর্কেও তারা ওয়াকিবহাল ছিল।রাজধানী কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি হচ্ছে দেশটির জাতীয় সমাধিক্ষেত্র। উনিশ শতকে তৎকালীন ডাচ শাসকেরা স্থানীয় ক্যাথলিকদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল। নিহত সেই ক্যাথলিকদের এখানে সমাহিত করা হয়েছিল। এখানে বিপুল দেশি-বিদেশি এবং খ্রিষ্টান ও অখ্রিষ্টান পর্যটক আসেন। দেশটিতে ভ্রমণ শুরু করার আগে এখানে পরিদর্শন করেন তাঁরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে শ্রীলঙ্কায় আমার সর্বশেষ ভ্রমণের সময় দেখেছি, গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পরআমাদের চালক প্রথমে এই গির্জায় গাড়ি থামিয়েছিলেনএবং ভ্রমণ যাতে নিরাপদ হয়, সে জন্য সেখানে প্রার্থনাসেরে নিয়েছিলেন।আক্রান্ত দ্বিতীয় গির্জাটি হলো আমার মায়ের জন্মস্থান নেগোম্বোতে অবস্থিত সেন্ট সিবাস্টিয়ান চার্চ। নেগোম্বো রাজধানী থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত একটি মৎস্য বিপণনের শহর। ষোড়শ শতকে পর্তুগিজ উপনিবেশ থাকাকালে এখানে ক্যাথলিকদের বসবাস শুরু হয়। এখানে বর্তমানে ক্যাথলিক সংস্কৃতি অত্যন্ত জোরদার থাকার কারণে শহরটির ডাকনাম হয়েছে 'খুদে রোম'। প্রতিবছর সাধু সিবাস্টিয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এখানে গির্জাটির পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই গির্জায় রাত-দিন প্রার্থনা হয়। প্রতিদিনই ধর্ম আলোচনা হয়। বিশেষ বিশেষ দিনে শোভাযাত্রাও হয়। গৃহযুদ্ধের আগে এবং পরে-সব সময়ই এ অবস্থা সেখানে বিদ্যমান ছিল এবং এখনো আছে।কয়েক বছর আগে আমি আমার এক জ্ঞাতি বোন এবং তাঁর স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে সেখানে গিয়ে উৎসবে যোগ দিয়েছিলাম। এখানে গিয়ে আমি নানা ধর্মাবলম্বীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নিদর্শন দেখেছিলাম। সেখানে আমি কোনো জাতিগত বিভেদের চিহ্ন দেখিনি। কিন্তু আগামী বছরের ফেস্ট অব সেন্ট সিবাস্টিয়ানে কি আমি সেই ছবি দেখতে পারব? সেটি অবশ্য ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এই হামলার ঘটনা কী অশনিসংকেত দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে।সুদীর্ঘ কাল ধরে বৈশ্বিক বাণিজ্যপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কায় কয়েক শতাব্দী ধরে নানা ধর্মের লোকের আগমন ঘটেছে। এ কারণে এখানে ধর্মীয় বৈচিত্র্য বহু আগে থেকেই ছিল। বলা হয়ে থাকে খ্রিষ্টের জন্মের অন্তত ১০০ বছর আগে থেকেই এখানকার জনপদের সঙ্গে বৌদ্ধ দর্শনের যোগ ছিল। এর কয়েক শতক পর এখানে হিন্দুধর্মের আগমন ঘটে। মধ্য যুগে আরব দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য প্রসারের হাত ধরে এখানে মুসলমানরা আসেন। অন্যদিকে ষোড়শ শতকের দিকে ইউরোপীয় উপনিবেশের পর এখানে খ্রিষ্টানদের বসবাস শুরু হয়।এই নানা ধর্মের অনুসারীরা সব সময় যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ছিলেন, তা কিন্তু নয়। তবে ভারত মহাসাগরের এই ছোট দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ধর্মীয় বিভেদের কারণে যেসব সংঘাত হয়েছে, তা কখনোই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। বহির্বিশ্বের কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে এখানকার কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর যোগসাজশের খবর কখনোই সামনে আসেনি।তবে সর্বশেষ এই হামলার তীব্রতা ও ধরন সেই ধারণায় আঘাত হেনেছে। খবর বেরিয়েছে, শ্রীলঙ্কা সরকার আগে থেকেই এমন কয়েকটি ইসলামপন্থী স্থানীয় গ্রুপকে নজরদারিতে রেখেছিল, যারা এসব হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদি ইসলামপন্থীরাই এই হামলা চালিয়ে থাকে, তবে এই গ্রুপগুলো যে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের স্রোতের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।টরন্টোতে বসে আমি হামলার খবর শোনার পরপরই উদ্বিগ্ন হয়ে শ্রীলঙ্কায় থাকা আমার পরিচিতজনদের ফোন করে খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। যে দেশটিকে আমি এত ভালোবাসি, সেখানে এমন একটি জঘন্য হামলা হয়ে গেল, তা মেনে নিতে পারছিলাম না। আমিও তাঁদের কাছে আমার সমবেদনার কথা বলছিলাম। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মানুষ এই সমবেদনার কথাকে কীভাবে নিচ্ছে, আমি সেটাই ভাবছিলাম। শ্রীলঙ্কার মানুষের কাছে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ নতুন বিষয় হতে পারে, কিন্তু আত্মঘাতী হামলা নতুন কিছু নয়। প্রায় এক দশক আগেও সেখানে তামিল টাইগাররা কিছুদিন পরপর বিস্ফোরণ ঘটাত।শ্রীলঙ্কার জন্য মায়া হচ্ছে। দেশটি যা হারাল তার জন্য নয় বরং দেশটি যা 'অর্জন' করল, তার জন্য মায়া হচ্ছে। সেই 'অর্জিত জিনিসটি' হলো বৈশ্বিক সংঘাতময় দেশগুলোর ক্লাবের 'সদস্যপদ'। এটি শ্রীলঙ্কার জন্য নতুন এবং বিশ্বের জন্য নতুন। নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনূদিত র্যান্ডি বয়াগোডা লেখক ও টরন্টো ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক
শ্রীলঙ্কা,শ্রীলঙ্কায় হামলা,আন্তর্জাতিক
শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে একাধিক গির্জা এবং হোটেলে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়
opinion
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/04/22/1650639164210
নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: বিএনপি নেতা মকবুল গ্রেপ্তার
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন- ছাত্র-দোকানি সংঘর্ষে উসকানিদাতা ২৪ বিএনপি নেতা খুঁজে পেলো পুলিশ নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ২২ এপ্রিল রাতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ জন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জন ছাত্রকেও আসামি করা হয়েছে। আরও পড়ুন-নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: দুই হত্যা মামলার তদন্তভার পাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ এজাহারে হামলার উসকানিদাতা হিসেবে এক নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট মকবুলকে। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য এবং নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের যে দুটি দোকানের কর্মচারীদের নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত; ওই দুটি দোকানের মালিক তিনি। তবে দোকানগুলো চালান তার দুই চাচাতো ভাই। এদিকে মকবুল দাবি করে আসছেন, "বিএনপি করার কারণে" পুলিশ তাকে এ মামলার আসামি বানিয়েছে। তিনি বলেন, "এজাহারে যাদের নাম রয়েছে তারা প্রত্যেকেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পদধারী নেতা। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই পুলিশ সবার নাম জুড়ে দিয়েছে। অনেকেই কয়েক বছর ধরে বিদেশে।" আরও পড়ুন-নিউমার্কেট সংঘর্ষে মোরসালিন নিহতের ঘটনায় মামলা ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে এ বিষয়ে বলেন, "পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশের উপর আক্রমণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জখম ও ভাংচুরের অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
রাজধানী,বিএনপি,ঢাকা কলেজ,নিউমার্কেট
মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য এবং নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল
national
https://www.ajkerpatrika.com/99332/%E0%A6%86%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8
আজ কুমারখালী মুক্ত দিবস
আজ ৯ ডিসেম্বর। কুষ্টিয়ার কুমারখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়; ওড়ে স্বাধীন দেশের লাল সবুজের পতাকা।জানা গেছে, দীর্ঘ ৯ মাসে উপজেলার ধলনগর, করিমপুর, প্রতাপপুর, কুসলীবাসা, বিল বরইচারা, ডাঁসা, ঘাসখাল, বংশীতলা, নন্দনালপুরের হাতিসাঁকো রেললাইন, কুমারখালী শহরে যুদ্ধ হয়। এতে গেজেটভুক্ত ১৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শত শত নারী-পুরুষ শহিদ হন। নিহত হয় কয়েকশ পাকিস্তানি সৈন্য।৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে ঢুকে কুন্ডুপাড়া রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ করেন। সে সময় রাজাকারদের সঙ্গে তাঁদের তুমুল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধের খবর পেয়ে কুষ্টিয়া থেকে পাকিস্তানি সেনারা কুমারখালী শহরে প্রবেশ করে এবং বিক্ষিপ্তভাবে ব্রাশ ফায়ারের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা করতে পৃথক পৃথক এলাকায় অবস্থান নেন।৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা শহরের চারপাশ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প (বর্তমান কুমারখালী উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ করেন। দীর্ঘ সময় যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে ট্রেনযোগে কুষ্টিয়ার দিকে রওনা দেয়।ট্রেনটি চাড়াইকোল হাতিসাঁকো এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনটি লাইনচ্যুত করে দেয়। গুলি ছুড়তে ছুড়তে হেঁটে কুষ্টিয়া অভিমুখে পালিয়ে যায়।
কুষ্টিয়া,খুলনা বিভাগ,কুমারখালী,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,যশোর ৭
আজ কুমারখালী মুক্ত দিবস
national
https://www.ajkerpatrika.com/12508/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে উল্লাপাড়ার মৃৎশিল্পীরা
কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে উল্লাপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। এক সময় মাটির তৈজসপত্রের অনেক কদর ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক ও সিরামিকের ভিড়ে হারাতে বসেছে মাটির তৈজসপত্র। এখন আর মাটির তৈজসপত্র আগের মত তেমন একটা চলে না। প্রাচীন সভ্যতার অপূর্ব উপকরণ মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্তি পথে। বিশেষ করে করোনার কারণে সকল অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ শিল্পের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।ঈদ, পূজা, পার্বণে মৃৎশিল্পীরা তাঁদের হাতের তৈরি তৈজসপত্র এসব অনুষ্ঠানে তুলত। বর্তমানে এ সকল অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এগুলো আর বিক্রি হয় না। পুরুষ ও মহিলাদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মাটি হয়ে ওঠে বিভিন্ন ধরনের শৌখিন সামগ্রী। আর সেগুলো রোদে শুকিয়ে রং তুলির আঁচড়ে তা ফুটিয়ে তোলা হতো। অনেক পুরুষ মাটির তৈরি তৈজসপত্র দুই ঝুপড়ি করে কাঁধে নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তা হাঁক ডেকে বিক্রি করতেন। বর্তমানে এটিও আর চোখে পড়ে না। আধুনিকতায় বদলে গেছে সবকিছু প্লাস্টিক, সিরামিক, অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসে বাজার দখল করে নিয়েছে। তাই এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বর্তমানে চলছে চরম দুর্দিন। উল্লাপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে টিকে রেখেছেন এ শিল্প। বিশেষ করে চোখে পড়ে উপজেলার ঝিকিড়া, ঘোষগাঁতী, নেওয়ারগাছা পালপাড়াতে।এ সময় কথা হয় ঘোষগাঁতী পালপাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি। আগে অনেক কিছু তৈরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে এখন শুধু হাঁড়ি, পাতিল, আর দইয়ের খুঁটি তৈরি হয়। আগে অনেক কিছুর চাহিদা থাকলেও এখন আর নেই। তাই এ পেশা টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বাজারে সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি হলেও বাড়েনি মাটির তৈরি তৈজসপত্রের দাম। বর্তমানে বাজারে ১২০ টাকা মন কাঠ, ১০০ টাকা বস্তা কাঠের গুঁড়া, আর চড়া মূল্যে কিনতে হয় মাটি। তাই এ পেশা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে বাপ-দাদার এই পেশা ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে এ পেশা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত মৃৎশিল্পীরা।এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মান উন্নয়নের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাস বেত শিল্প, মৃৎশিল্পী, জুতা মেরামত কারি (মুচি), নাপিত, কাঁচা পিতল প্রস্তুতকারী ও কামার শিল্পীদের জন্য ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। খুব শিগগিরই এদের তালিকা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
সিরাজগঞ্জ,রাজশাহী বিভাগ,উল্লাপাড়া
মাটির তৈজসপত্র তৈরি করে রোদে শুকাতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
national
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/06/24/663060
গৌরনদীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আরও একজন নিহত
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় হামলার পর আহত অবস্থায় বরিশাল শেরই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যান তিনি। এ নিয়ে ওই ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনদিনে তিনজন নিহত হলো। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য ফিরোজ মৃধাকে দায়ী করেছেন শাহ আলমের স্বজনরা। তারা এই হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার দাবি করেন। নিহতের ভাতিজা অপূর্ব খান জানান, খাঞ্জাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মন্টুর ভায়রা শাহ আলমকে বুধবার সকালে হুমকি দেয় ফিরোজের সমর্থকরা। ওইদিন সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাঞ্জাপুরের বেইলি ব্রিজ এলাকায় আকস্মিক শাহ আলমের ওপর হামলা চালায় তারা। এসময় তাদের কিল-ঘুষিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই মারা যান তিনি। নিহতের ছোট ভাই মজিবর খান জানান, তার ভাই শাহ আলম কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন তিনি। শুধুমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধের জের ধরে তার ভাইকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। তিনি তার ভাইকে হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। স্থানীয় বাসিন্দা লিপি বেগম ও জেসমিন আক্তার জানান, ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র ৩ দিনের ব্যবধানে ওই এলাকায় তিনজন নিহত হয়েছে। এ কারণে ওই এলাকায় আতঙ্ক এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে কমলাপুর এবং বড়দুলালী গ্রাম অনেকটা পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। এদিকে, ৩ দিনের ব্যবধানে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ফের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার কথা বলেন নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম। গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, শাহ আলমকে নির্বাচনের কারণে হত্যা করা হয়নি। ভ্যানে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি। এর আগে, গত ২১ জুন নির্বাচন চলাকালে খাঞ্জাপুরের কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ককটেল হামলায় মৌজে আলী মৃধা (৫৫) এবং ওইদিন সন্ধ্যায় এক সদস্য প্রার্থীর বিজয় মিছিলে ককটেল হামলায় আবু বক্কর (২৭) নামে আরও এক ব্যক্তি নিহত হয়। মৌজে আলী মৃধা হত্যা মামলায় খাঞ্জাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য প্রার্থী ফিরোজ মৃধাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। কিন্তু আবু বক্কর এবং শাহ আলম হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি। বিডি প্রতিদিন/এমআই
গৌরনদীতে, নির্বাচন, পরবর্তী, সহিংসতায়, আরও, একজন, নিহত
নিহত মো. শাহ আলম খান।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/11/12/%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%a4%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%98%e0%a7%9c%e0%a6%bf-%e0%a6%b6/
নির্দেশনার আগেই তড়িঘড়ি শিক্ষার্থীদের সারা বছরের বেতন আদায়
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন এবং অন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে কি যাবে না-এ বিষয়ে নির্দেশনা আসার আগেই ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি বেসরকারি কলেজের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সারা বছরের টিউশন ফি (মাসিক বেতন) ও সেশন চার্জ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাউশি কর্তৃক নির্দেশনা প্রদানের আগেই যাবতীয় পাওনা আদায় করছে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নে অবস্থিত 'কাদিরদী কলেজ' ও চতুল ইউনিয়নে অবস্থিত 'চতুল উচ্চ বিদ্যালয়'। সরকারি নির্দেশনা জারির আগেই তড়িঘড়ি করে বেতন ও পাওনাদি পরিশোধের নির্দেশ দেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২শ টাকা এবং নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১৩শ টাকা আদায় করা হয়েছে। চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বার মাসের টিউশন ফি না দিলে এসাইনমেন্ট জমা নিচ্ছে না। কাদিরদী কলেজের একাদশ শ্রেণির জনৈক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার দুইশ ষাট টাকা আদায় করলেও রসিদে খাতওয়ারি কত টাকা নিয়েছে তার উল্লেখ নেই। নাম প্রকাশ না করা শর্তে কাদিরদী কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, টিউশন ফি না দিলে এসাইনমেন্টের কাজ দিচ্ছে না। নির্দেশনা ব্যতীত টাকা আদায়ের ব্যাপারে কাদিরদী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান বলেন, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত টিউশন ফি, এসাইনমেন্টের ফি বাবদ ৩২০ টাকা এবং অন্যান্য খাতসহ তিন হাজার ১৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। চতুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুনীর হোসেন বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েই টিউশন ফি ও সেশন চার্জ আদায় করা হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, আমার এ ব্যাপারে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণু পদ ঘোষাল বলেন, আমি একটা জরুরী সভায় আছি। রাতে কথা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, 'উপজেলা পরিষদের আজকের মিটিংএ এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে কোন অভিযোগ না আসে। বেতন আদায় সংক্রান্ত নির্দেশনা আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
null
বেতন না দিলে জমা নিচ্ছে না এসাইনমেন্ট
national
https://www.prothomalo.com/chakri/employment/ঢাকা-উত্তর-সিটি-করপোরেশনে-২০০-জনের-চাকরি-মজুরি-দৈনিকভিত্তিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০০ জনের চাকরি, মজুরি দৈনিকভিত্তিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন লোকবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অস্থায়ীভাবে দৈনিক মজুরিভিত্তিক (কাজ করলে মজুরি, না করলে নেই) অদক্ষ শ্রমিক (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে ২২ জুনের মধ্যে ডাকে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। শ্রমিক (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) ২০০টি ২০২১ সালের ১ মে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। আবেদনপত্রে প্রার্থীর নাম, পিতা/স্বামীর নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জাতীয়তা, ধর্ম, জন্মতারিখ, বয়স, নিজ জেলার নাম, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা (যদি থাকে) উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি কার্ড)/জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার (যদি থাকে) সনদের সত্যায়িত কপি দিতে হবে। সদ্য তোলা ৪ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা/ডিএনসিসির কাউন্সিলর কর্তৃক সত্যায়িত করে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। সত্যায়নের ক্ষেত্রে সত্যায়নকারী কর্মকর্তা/কাউন্সিলরের সুস্পষ্ট নাম, পদবি ও সিল অবশ্যই থাকতে হবে। এই নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী, দৈনিক মজুরিভিত্তিক এবং ভবিষ্যতে কোনোক্রমে রাজস্ব খাতে নিয়মিত করার কোনো সুযোগ থাকবে না। নিয়োগপ্রাপ্তির পর প্রার্থী স্থায়ী করার আবেদন করতে পারবেন না এবং এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করতে পারবেন না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে কর্মরত অবস্থায় মৃত পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ৫৯ বছরে চাকরি হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কর্মীদের ওয়ারিশেরা অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া হরিজনদের জন্য সরকার নির্ধারিত কোটা অনুসরণ করা হবে। সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, গুলশান সেন্টার পয়েন্ট, প্লট ২৩-২৬, রোড-৪৬, গুলশান-২, ঢাকা। খামের উপর অবশ্যই 'শ্রমিক (পরিচ্ছন্নতাকর্মী)' উল্লেখ করতে হবে । *বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন,চাকরিবাকরি,চাকরির খবর,সরকারি চাকরি,চাকরির পরামর্শ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
education-career
https://www.prothomalo.com/entertainment/কোন-গুপ্তচরের-বায়োপিকে-দেখা-যাবে-সালমানকে
কোন গুপ্তচরের বায়োপিকে দেখা যাবে সালমানকে
২০১২ সালের কথা। সালমান খান অভিনয় করবেন গুপ্তচরের চরিত্রে। চরিত্রের নাম টাইগার। ছবির নাম 'এক থা টাইগার'। ধুন্ধুমার অ্যাকশন ঘরানার এই ছবি নিয়ে গুজব, এটি নাকি ভারতের দুর্ধর্ষ এক গুপ্তচরের জীবনী! ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর দেখা গেল, কারও জীবনী নয়, কাল্পনিক গল্পেই ঠাসা ছবির কাহিনি। ছবি সুপারহিট। এরপরে এল 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'। আসছে সিরিজের তৃতীয় ছবি 'টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়'। শোনা যাচ্ছে, আবারও টাইগার চরিত্রে আসছেন সালমান। তবে এবারের টাইগার বাস্তবের। 'এক থা টাইগার' নিয়ে যে গুজব, তা সত্য হলো ৯ বছর পরে! ভারতের দুর্ধর্ষ গুপ্তচর 'ব্ল্যাক টাইগার'-এর চরিত্রেই আসছেন সালমান খান।বায়োপিক! এত বছর পরে? রোমান্স আর অ্যাকশনে-ভাইজান এক শতে এক শ। আর বায়োপিকে অভিনয় করতে অপেক্ষা করতে হলো ৩২ বছর! বলিউডে এখন বায়োপিকের হিড়িক। কে নেই এই তালিকায়? কুস্তিগির মহাবীর সিং ফোগাতকে পর্দায় এনেছেন আমির খান। ভারতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমকে পর্দায় তুলে ধরবেন অজয় দেবগন। রণবীর সিং আসছেন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব হয়ে। তাঁর স্ত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে দেখা গেছে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার লক্ষ্মী আগারওয়ালের চরিত্রে। এখানে শেষ না, অভিনেত্রী জয়ললিতাকে নিয়ে আসছেন কঙ্গনা রনৌত। গণিত বিশেষজ্ঞ শকুন্তলা দেবী হয়েছেন বিদ্যা বালান। ভারতীয় গণিত শিক্ষক আনন্দ কুমারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশন। বক্সার ম্যারি কমের চরিত্রে দেখা গেছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসেন মান্টোর চরিত্রে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী এবং সদ্য প্রয়াত অ্যাথলেট মিলখা সিংয়ের চরিত্রে ফারহান আখতার অভিনয় করেছেন। শুধু তা-ই নয়, হালের তরুণ অভিনয়শিল্পীরাও আছেন এই তালিকায়। জাহ্নবী কাপুর, পরিণীতি চোপড়া, শ্রদ্ধা কাপুর, আলিয়া ভাট, রিচা চাড্ডা, তাপসী পান্নুরাও আছেন বায়োপিক নিয়ে। ভাইজান বসে থাকবেন কেন? নেমে গেলেন বায়োপিকের বাজারে। বায়োপিক নির্মাণের দায়িত্ব রাজ কুমার গুপ্তার ঘাড়ে পড়েছে। এই পরিচালকের নাম বললে উঠে আসে 'আমির', 'নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা', 'ঘনচক্কর' ছবির নাম। বায়োপিকটি হবে অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার। তবে ঘটনা উঠে আসবে রবীন্দ্র কৌশিকের জীবন থেকে। ছবির প্রযোজনা-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের মতে, ব্ল্যাক টাইগার ভারতের সেরা গুপ্তচরদের একজন। পরিচালক পাঁচ বছর তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারপর শুনিয়েছেন ভাইজানকে। সালমান খানের কাছ থেকে নাকি সবুজ সংকেতও এসেছে। কে এই রবীন্দ্র কৌশিক কিংবা ব্ল্যাক টাইগার?রবীন্দ্র কৌশিক ছিলেন একজন মঞ্চাভিনেতা। রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরে বাড়ি। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের চলতি হিন্দুস্তানি ভাষায় দক্ষ। আবার পাঞ্জাবি ভাষাতেও স্বচ্ছন্দ ছিলেন, যা পাকিস্তানেও প্রচলিত। লক্ষ্ণৌয়ের জাতীয় নাট্যোৎসব থেকে তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। রবীন্দ্র কৌশিকের সঙ্গে গোপনে দেখা করেন 'র'-এর কর্মকর্তারা। তিনি 'আন্ডারকভার' এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী হন। শুরু হয় তাঁর প্রশিক্ষণ। উর্দু শেখেন। ধর্মান্তরিত হন। তাঁকে পাকিস্তানের বিভিন্ন বিষয়ে জানানো হয়। আহমেদ শাকির নাম নিয়ে গোপনে ঢুকে পড়েন পাকিস্তানে। শুরু হয় রবীন্দ্র কৌশিকের অন্য জীবন। এরপর করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি নেন। যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নাকের ডগা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচার করতেন রবীন্দ্র ওরফে শাকির। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আরেক কর্মকর্তার ভুলে ধরা পড়ে যান তিনি। গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও পরে সেই রায় পাল্টে যায়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল রবীন্দ্র কৌশিককে। মুলতানের নিউ সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যু হয় তাঁর।
সিনেমা,গুপ্তচর,সালমান খান
সালমান খান
entertainment
https://samakal.com/whole-country/article/18061346/জাতীয়-নির্বাচনের-তফসিল-অক্টোবরে-ইসি-সচিব
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরে: ইসি সচিব
অক্টোবরের শেষের দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। হেলালুদ্দীন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী অক্টোবরের শেষ দিকে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, 'বাসাইল একটি ছোট পৌরসভা হলেও নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বাসাইল পৌরসভাসহ সিটি নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী ৩০ জুনের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। বাসাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমীনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল র্যাবের কমান্ডার মেজর রবিউল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, ইউএনও শামছুন নাহার স্বপ্না, বাসাইল থানার ওসি আনিচুর রহমান প্রমুখ। বাসাইল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইসি সচিব,সারাদেশ,টাঙ্গাইল
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ
national