news_link
stringlengths 42
523
| head_lines
stringlengths 2
121
| article
stringlengths 1
58.1k
| tags
stringlengths 1
285
⌀ | image_caption
stringlengths 1
1.86k
⌀ | category
stringclasses 13
values |
---|---|---|---|---|---|
https://www.dailynayadiganta.com/diplomacy/625142/বাংলাদেশের-জনগণের-প্রশংসা-ভারতের-সেনাপ্রধানের | বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা ভারতের সেনাপ্রধানের | ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে মুক্তি ও স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করে বলেছেন, ১৯৭১ সালে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা তাদের মাতৃভূমির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বুধবার নয়াদিল্লিতে 'ভারত-বাংলাদেশ : বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর' শীর্ষক সেমিনার কাম ওয়েবিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের জন্ম দিতে সামনে থেকে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশী নেতাদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। সেন্টার ফর ল্যান্ড ওয়ারফেয়ার স্টাডিজ (সিএলএডব্লিউএস) ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে (আইআইসি) ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর এবং সেই সাথে ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক বিজয়ের স্মরণে এ সেমিনারের আয়োজন করে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এই মহাকাব্যিক সংগ্রামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানের স্বীকৃতি যা বাংলাদেশের লাখো মানুষের জীবন ও ভাগ্য বদলে দিয়েছে। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীকও আলোচনায় অংশ নেন। তারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন এবং দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেন। সেমিনারে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়। সেমিনারে পর্যটন ও সাধারণ সংস্কৃতির মতো কূটনৈতিক হাতিয়ার, উন্নত অবকাঠামোগত সংযোগের প্রয়োজনীয়তা এবং অর্থনৈতিক সংহতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে উভয় দেশকেই কাজ করতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট জনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ, সশস্ত্র বাহিনীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পরে অনুষ্ঠান চলাকালীন ''বাংলাদেশ লিবারেশন আ্যট ৫০ ইয়ার্স : বিজয়' উইথ সিনার্জি ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ওয়ার ১৯৭১'' শিরোনামের একটি বইও প্রকাশ করা হয়। বইটি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ঐতিহাসিক এবং উপাখ্যানের বিবরণের মিশ্রণ এবং এতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের লেখকরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন, যাদের অনেকেই প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত শমসের চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ এবং সে সময় যুদ্ধবন্দী হওয়া সম্পর্কে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বাংলাদেশী সেনাদের নৃশংসতা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল তাও প্রকাশ করেন। বই প্রকাশের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়, যেখানে একজন যোদ্ধা হিসেবে এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সিওএএস ব্রিগেডিয়ার নরেন্দ্র কুমারকে (ভিজিটিং ফেলো, সিএলএডব্লিউএস) 'স্কলার ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড' প্রদান করেন। সিএলএডব্লিউএস ফিল্ড মার্শাল মানেকশ রচনা প্রতিযোগিতা (এফএমএমইসি) বিজয়ীদের পুরস্কার এবং প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। সূত্র : বাসস | null | ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে | politics |
https://www.bd-pratidin.com/national/2022/01/09/729032 | ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপালের ৮ বছরের কারাদণ্ড
| অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের ৮ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।সেইসঙ্গে জব্দ করা ৬৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলার আজ এই রায় দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। বিকালে ধানমন্ডিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এরপরই তাকে আটক করা হয়।
পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত হওয়া কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | পার্থ গোপাল, কারাদণ্ড, রায় | বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক। | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2022/04/01/755534 | নাসিরনগর ছাত্রলীগের কমিটিতে শুভ সভাপতি, রাহুল সম্পাদক | প্রায় ১১ বছর পর নতুন কমিটি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার দিনভর সম্মেলন শেষে রাতে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। আগামী এক বছরের জন্য গঠিত এ কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে শুভ সিদ্দিকীকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে রাহুল রায়কে। শুভ নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রাহুল ফান্দাউক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলিমুল হক, মুরাদ হায়দার টিপু, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ। বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন | null | শুভ সিদ্দিকী ও রাহুল রায় | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/2203102656/ছাত্রলীগ-নেতাকে-তুমি-সম্বোধন-করায়-কুবি-শিক্ষার্থীকে-মারধর | ছাত্রলীগ নেতাকে 'তুমি' সম্বোধন করায় কুবি শিক্ষার্থীকে মারধর | কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখার এক ছাত্রলীগ নেতাকে 'তুমি' সম্বোধন করায় বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার শিক্ষার্থী চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সেলিম মিয়ার দোকানে চা পান করতে যান। সেখানে তিনি ভুক্তভোগী আনিছকে পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। পরিচয়ের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে চিনতে না পেরে 'তুমি' সম্বোধন করেন আনিছুর। এ ঘটনায় ওয়াকিল ও তার বন্ধুরা দোকানের পেছনে নিয়ে ভুক্তভোগীকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কাকুতি-মিনতি করলে মারধরের মাত্রা আরও বাড়িয়ে চোখে আঘাত করেন ছাত্রলীগ নেতা ওয়াকিল। ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে সহপাঠীরা এসে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনিছুর রহমান বলেন, 'আমাকে ওয়াকিল ভাই পরিচয় জিজ্ঞেস করলে আমি আমার পরিচয় দেই। পরে মিরাজ নামের একজনের নাম জিজ্ঞেস করলে, আমি বলি মিরাজ কি তোমার বন্ধু। এতে আমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। পরে আমাকে দোকানের পেছনে নিয়ে মারধর শুরু করে।' অভিযুক্ত ওয়াকিল আহমেদ বলেন, 'ওই ছেলে সিগারেট খেয়ে আমার মুখের ওপর ধোঁয়া ছেড়েছিল। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার মা-বাবাকে গালি দেয়। এ সময় তার সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।' বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর করা অন্যায়। বিষয়টি জেনে আমরা সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, 'বিষয়টি আমি জানতে পেরেই ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে দেখতে এসেছি। আমরা আগামীকাল প্রক্টরিয়াল টিম বসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।' কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কৌশিক সেন গুপ্ত বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে দেখে চিকিৎসা দিয়েছি। চোখের পেছনের অংশের আঘাত কতটা গুরুতর তা নির্ণয়ে আগামীকাল আমরা মেডিকেল বোর্ড বসবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, আমি প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রক্টর রিপোর্ট দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। | কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়,ছাত্রলীগ নেতা,তুমি,সম্বোধন করায়,মারধর,শিক্ষার্থী | অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ওয়াকিল আহমেদ | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/07/29/674893 | বগুড়ার শেরপুরে ৩০০ অসহায় পরিবারকে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা | বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় ৩০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। কালের কন্ঠ শুভ সংঘের মাধ্যমে সকলের মাঝে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি আটা দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার উলিপুর আমেরিয়া সমতুল্যা বালিকা সিনিয়র মাদ্রাসার মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা। বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সেফাত আলী বলেন, 'হামি কাম করবার পারিচ্চি না। বুকত সমস্যা হয়। ছোলরা পৃথক থাকে। ট্যাকা পয়শা দিবার পারে না। তোমাকের ত্রাণ দিয়া হামরা কয়েকদিন খাবার পারিমু। তোমাকের জন্য দোয়া করিচ্চি।' ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মজনু বলেন, করোনা মহামারীতে শুধু বগুড়া জেলা নয় গোটা বাংলাদেশ ও পুরো বিশ্ব বিধ্বস্ত। মহামারী সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই অংশ হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে পুরো বগুড়া জেলার প্রত্যেক উপজেলায় দুস্থ মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। এর জন্য আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আপনারা সবাই মাস্ক পরবেন। সাবান দিয়ে হাত ধুবেন। টিকা নিয়ে নিবেন। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকা, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠ'র ব্যুরো প্রধান লিমন বাসার, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সাত্তার, শুভসংঘ বগুড়া জেলার উপদেষ্টা মোস্তফা মাহমুদ শাওন, শেরপুর উপজেলার উপদেষ্টা মুন্সি সাইদুল বাড়ী ডাবলু, আখতারুল আলম আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শিশির মোস্তাফিজ, শেরপুর শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের মজনুসহ শাহানাজ পারভীন, অ্যাড. এহসানুল হক, হাবিবুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, রোকেয়া বেগম, ইমরান হোসেন, শাহিন আলম, উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনি। বিডি-প্রতিদিন/শফিক | null | শেরপুর উপজেলায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/08/16/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a6%b6%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf-%e0%a6%8f%e0%a6%96/ | সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সুযোগ খুঁজছে | আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ আগস্টের মতো এখনো উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সুযোগ খুঁজছে। উন্নয়নবিরোধী অপশক্তি এখনো আমাদের চারপাশে অবস্থান করছে। রবিবার (১৬ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সংযুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধির আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ। তারা এ দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর। তিনি আরও বলেন, এরপরও দেশের বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই। সতর্কতার পাশাপাশি আমাদের ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লাখো শহীদের রক্তস্রোতে পবিত্র এই ভূমি, পবিত্র-উর্বর সেই জমি এখন উন্নয়নের ফসলে ভরে তুলছেন উন্নয়নের কাণ্ডারি শেখ হাসিনা। এখানে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর ঠাঁই নেই। সকল ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে জনগণের ভালোবাসা, সমর্থন নিয়ে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে চলমান যাত্রা, তা এগিয়ে যাবে অদম্য গতিতে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যে নির্যাতন-নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার কথা বলে, তারা কি সবকিছু ভুলে যেতে চান? তারা ভুলে গেলেও জাতি ভুলে যায়নি। তাই বলব, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া কিছুই দেখতে পাবেন না। বিএনপি দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আর দুর্নীতি শব্দ দুটি অনেকটাই সমার্থক। তাদের সময় দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের মুখে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলা 'ভূতের মুখে রাম নাম' একই কথা। গণভবন প্রান্ত থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। | null | ওবায়দুল কাদের। । | national |
https://www.prothomalo.com/world/europe/গুগলকে-যে-কারণে-সাড়ে-৩-কোটি-ডলার-জরিমানা | গুগলকে যে কারণে সাড়ে ৩ কোটি ডলার জরিমানা | সার্চ ইঞ্জিন পরিষেবায় ক্ষমতার অপব্যবহার করায় টেক জায়ান্ট গুগলকে বিপুল অর্থ জরিমানা করেছে তুরস্ক। গতকাল বুধবার দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তুর্কিস কমপিটিশন বোর্ড এ জরিমানা করে গুগলকে। জরিমানার অর্থ ২৯৬ মিলিয়ন লিরার বেশি (৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার)। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, গুগল তার পরিষেবা গ্রহণে নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে গ্রাহকদের বেশি সুবিধা দিচ্ছে, যা প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও বেশি। ফলে সার্চ ইঞ্জিন পরিষেবায় অসমতা তৈরি করায় জরিমানার মুখে পড়তে হলো টেক জায়ান্টটিকে। তুর্কিস কমপিটিশন বোর্ড আরও জানায়, গুগলকে ছয় মাসের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে যে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসুবিধায় ফেলা যাবে না এবং এ বিষয়ে পাঁচ বছর ধরে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তবে গুগল জানায়, তথ্য অনুসন্ধানে গ্রাহকদের দাবির অনুসারে সার্চ পরিষেবার কার্যকারিতা বাড়ানো হয়েছে। এতে বেশি অনুসন্ধান ও সুবিধার অপশন আছে, যা বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বিবৃতিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি বলে, 'আমরা তুরস্কের সংস্থাটির সিদ্ধান্ত মূল্যায়ন করে দেখছি এবং গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় তাদের সঙ্গে কাজ করছি।' এর আগে একাধিক বিষয়ে বাজারে ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে গুগলকে জরিমানা করে তুরস্ক। গত বছর বিজ্ঞাপনের বাজারে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রবেশের কারণে প্রায় ২০০ মিলিয়ন লিরা (২৪.৭৩ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। | গুগল,তুরস্ক,ইউরোপ | গুগলকে যে কারণে সাড়ে ৩ কোটি ডলার জরিমানা | international |
https://www.dailynayadiganta.com/economics/598144/রফতানিমুখী-শিল্পকারখানা-রোববার-থেকে-খোলা | রফতানিমুখী শিল্পকারখানা রোববার থেকে খোলা | চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই আগামী রোববার থেকে (১ অগাস্ট) রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা রাখার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো: রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট (রোববার) সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এতদিন শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে অনড় ছিল সরকার। তবে তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের রফতানিমুখী কারখানা খুলে দিতে সরকারের উচ্চ মহলে বারবার অনুরোধ করছিলেন শিল্পমালিকরা। বৃহস্পতিবার তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবারো অনুরোধ জানান। এদিন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ, ঢাকা চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সাথে এক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা, সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়া, বন্দরে জট, সার্বিক অর্থনীতিসহ সবকিছু বিবেচনা নিয়েই তারা এ অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। | শিল্পকারখানা,রফতানি,লকডাউন | গার্মেন্টসসহ রফতানি শিল্পকারখানা খুলছে রোববার। | economy |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/সিলেটে-১৬-ইউপির-১০টিতে-আলীগের-পরাজয় | সিলেটে ১৬ ইউপির ১০টিতে আ.লীগের পরাজয় | সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১০ প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। জয় পেয়েছেন ছয়টি ইউপিতে। গতকাল বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার ১৮টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিশৃঙ্খলা ও সিল মারা ব্যালটসহ দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা আটকের ঘটনায় জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আর সুলতানপুর ইউনিয়নের গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করায় ইউপির ফল ঘোষণা করা হয়নি। বাকি ১৬ ইউপির মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপির ২ প্রার্থী, জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের ২ প্রার্থী, ৩ জন জামায়াতসংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির ১ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কানাইঘাট উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন, তাঁরা হলেন কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী তমিজ উদ্দিন, লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের জমিয়তের প্রার্থী জামাল উদ্দিন, দীঘিরপাড় ইউনিয়নের আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মোমিন চৌধুরী, সাতবাঁক ইউনিয়নের জামায়াতের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তায়্যিব শামীম, বড়চতুল ইউনিয়নের বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মালিক চৌধুরী, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফসার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী লোকমান আহমদ, ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের বিএনপির নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু বকর ও রাজাগঞ্জ ইউনিয়নে জমিয়তের প্রার্থী শামসুল ইসলাম। জকিগঞ্জ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন, তাঁরা হলেন বারহালে জামায়াতের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক আহমদ, বিরশ্রী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সাত্তার, খলছড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা আবদুল হক, কসকনকপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলতাফ হোসেন লস্কর, মানিকপুরে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু জাফর মো. রায়হান, বারঠাকুরী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহসিন মুর্তজা চৌধুরী ও জকিগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফতাব আহমদ। | সিলেট,সিলেট বিভাগ,রাজনীতি,ইউপি নির্বাচন,আওয়ামী লীগ | ব্যালট বাক্স | national |
https://www.bd-pratidin.com/minister-spake/2021/01/04/604462 | বিএনপির সময় গণতন্ত্র ছিল পঙ্গুতন্ত্র: আইনমন্ত্রী | বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশে গণতন্ত্র ছিল না। তখন দেশে পঙ্গুতন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষ খুন হয়ে যেত, খুনিরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াত আর ভদ্র মানুষগুলো বাড়িতে চুপ করে বসে থাকতো। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং দেশকে গণতন্ত্র দিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী, কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আনিসুল হক ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এমএ আজিজ ও কসবা থানা ওসি লোকমান হোসেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে কেক কেটে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | আনিসুল হক | politics |
https://www.bd-pratidin.com/sports/2017/03/29/218823 | প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের দুর্দান্ত জয় | প্যারাগুয়েকে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে সাও পাওলোর করিন্থিয়ান্স অ্যারেনায় ৩-০ গোলে জেতে ব্রাজিল। প্রথমার্ধে কৌতিনিয়োর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান অধিনায়ক নেইমার। ম্যাচের শেষ দিকে জয় নিশ্চিত করেন মার্সেলো। এ নিয়ে তিতের অধীনে টানা নবম জয়ে ১৪ ম্যাচে শীর্ষে থাকা ব্রাজিলের পয়েন্ট হলো ৩৩। হামেস রদ্রিগেসের নৈপুণ্যে একুয়েডরকে ২-০ গোলে হারানো কলম্বিয়ার পয়েন্ট ২৪। আলেক্সিস সানচেসের নৈপুন্যে চিলি ৩-১ গোলে হারিয়েছে ভেনেজুয়েলাকে। বিডি প্রতিদিন/২৯ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা | null | মার্সেলো | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/104718/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%9F%E0%A7%87 | ফ্ল্যাগম্যান লাপাত্তা, মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি | কালভার্ট নির্মাণের কারণে একপাশ দিয়ে চলছে যানবাহন। আপ ডাউনে রাখা হয়েছে দুজন ফ্ল্যাগম্যান। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে একজন উধাও হয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার দুপাশে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ে শত শত গাড়ি। যানজট নিরসনে রাস্তায় নেমে পড়েন থানার ওসির নেতৃত্বে একটি টিম।আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এভাবেই দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কে উন্নয়নকাজ চলছে। তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর ওয়াপদা মোড় কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় একপাশে গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তার দুপাশে দুজন ফ্ল্যাগম্যান। কিন্তু একজন ফ্ল্যাগম্যান কাউকে কিছু না বলে চলে যান। এতে যানজট বেঁধে যায়। গোলাপপুর থেকে কোদালধর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার যানজটে পড়ে শত শত পরিবহন। ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাটগামী ইমাম পরিবহনের চালক রুবেল মিয়া বলেন, 'তিন ঘণ্টা ধরে রূপচন্দ্রপুর যানজটের মধ্যে আটকা পড়েছি। গাড়ি কোনো দিকে যাচ্ছে না। যাত্রী অনেকেই চলে গেছে বাস থেকে নেমে।'কোদালধর বাজারে আটকা পড়া সোনার বাংলা পরিবহনের চালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'যে যানজটে পড়েছি, আল্লাই যানে কখন জানি ছাড়ে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে দেখা যাক কি হয়।'শেরপুরগামী যাত্রী আসমা আক্তার বলেন, 'তিন ঘণ্টা ধরে যানজটে বসে আছি। উন্নয়নকাজ হলে ভোগান্তি হয় জানি। কিন্তু এমন কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে ভাবিনি। বাচ্চাটা কান্না করছে বারবার।'ময়মনসিংহগামী যাত্রী শরাফ উদ্দিন বলেন, 'ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি। কিন্তু আমি যানজটে আটকে আছি। রোগীর অবস্থাও ভালো নয়। সবকিছু একটু শৃঙ্খলার মধ্যে করলে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয় না।' এদিকে যানজট নিরসনে নেমে পড়েছে পুলিশ। তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, 'উন্নয়নকাজ চলার কারণে চালকেরা সিগন্যাল না মানায় প্রায় সময় যানজট লাগে। আজকে অনেক বড় যানজটে ভোগান্তির খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিরসনে কাজ করছি। দীর্ঘ যানজট নিরসনে একটু সময় লাগবে। তবে একপাশে ১০ মিনিট করে গাড়ি ছেড়ে অন্য পাশ বন্ধ করে গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। চেষ্টা করছি দ্রুত ভোগান্তি নিরসনে।'এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রূপচন্দ্রপুর রানা বিল্ডার্সের ইঞ্জিনিয়ার ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, 'কালভার্ট নির্মাণের দুপাশে ফ্ল্যাগম্যান থাকে। কিন্তু আমি একটু বাইরে যাওয়ায় একজন ফ্ল্যাগম্যান চলে যায়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ জন্য আমরা দুঃখিত। আমরাও মানুষের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছি।'ইঞ্জিনিয়ার ইমতিয়াজ আরও বলেন, 'ওই ফ্ল্যাগম্যান এখনো আসেনি। ফোনেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আপাতত অন্য লোক দিয়ে ফ্ল্যাগম্যানের কাজ করানো হচ্ছে। সে ফিরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' | শেরপুর,ময়মনসিংহ বিভাগ,যানজট,তারাকান্দা | দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তিন কিলোমিটার যানজটে প্রায় তিন ঘণ্টা ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিল শত শত গাড়ি। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/1704286055/বাংলাদেশ-ভুটান-৫-চুক্তি-ও-এমওইউ | বাংলাদেশ-ভুটান ৫ চুক্তি ও এমওইউ |
বাংলাদেশ ও ভুটান পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও দুটি চুক্তি রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক এসব চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষর হয়।
রয়াল ব্যাংকুয়েট হলে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসারিং তোবগের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে তাদের উপস্থিতিতে এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অটিজম ও নিউরোমেন্টাল ডিসর্ডার সম্পর্কিত একটি সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ভুটানে রয়েছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে এমওইউ সই করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডিজি মনোয়ার হোসেন। অন্যদিকে ভুটান সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ চুক্তি ও স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
| বাংলাদেশ-ভুটান,প্রধানমন্ত্রী,হাসিনা,শেখ হাসিনা | রয়াল ব্যাংকুয়েট হলে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসারিং তোবগের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে চুক্তি ও এমওইউ সই হয়-পিআইডি | national |
https://www.ajkerpatrika.com/6610/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%9C%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE | আদালতে দীর্ঘ জবানবন্দি, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন না ত্ব-হা | রংপুর: নিখোঁজের নয় দিন পর উদ্ধার ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান এখন নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। কিন্তু বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। আজ শনিবার একাধিকবার তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও বাসার ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।ত্ব-হার প্রতিবেশী মুদি দোকানদার সোলাইমান হোসেন জানান, সারা দিনে অনেকেই এসেছিলেন দেখা করতে। কিন্তু ত্ব-হা কারও সঙ্গে দেখা করেননি। খুব কাছের আত্মীয়-স্বজন ছাড়া কাউকে বাসার ভেতরে ঢুকতে দেখেননি তিনি।ত্ব-হা আদনান কারো সঙ্গে দেখা করছেন না, এ ব্যাপারে আইনগত কোনো বিধিনিষেধ আছে কি-না জানতে চাইলে রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আইনগত কোনো বিধিনিষেধ নাই।উল্লেখ্য, রংপুরের তরুণ ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ১০ জুন রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে তিন সঙ্গীসহ নিখোঁজ হন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রংপুরে নগরীর মাস্টারপাড়ায় শ্বশুর বাড়ি থেকে আদনানকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর আদনানের নিখোঁজ তিন সঙ্গীর মধ্যে দুজনকে নিজ নিজ বাসা থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।পরে বিকেল ৫টায় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তার তিন সঙ্গী ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁরা এত দিন গাইবান্ধায় এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন।এরপর রাত ৯টার দিকে তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিচারকের খাস কামড়ায় দীর্ঘ জবানবন্দি দেন তাঁরা। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁদের নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম হাফিজুর রহমান।আদালত থেকে বের হয়ে ত্ব-হা আদনান দ্রুত তাঁর মা ও ছোট বোনসহ একটি সাদা প্রাইভেট কার যোগে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসার দিকে যান। আদনানের অপর দুই সঙ্গীও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে আদালত চত্বর ত্যাগ করেন। তাঁরা কেউই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। | রংপুর জেলা,নিখোঁজ,আবু ত্ব–হা,রংপুর সদর | শুক্রবার রংপুরে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হন আবু ত্ব-হা। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/32892/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A7%AA-%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8 | রোববার থেকে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন | বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে প্রতিদিন চার ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানবাহনে গ্যাস বিক্রি বন্ধ থাকবে।রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মো. আসলাম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, বিদ্যুতের চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের দৈনিক পিক আওয়ারে সিএনজি স্টেশনগুলোয় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। এই সময়ে কম দামে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন করতে গিয়ে গ্যাসসংকট দেখা দেয় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে।এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গত ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর উপস্থিতিতে এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, সিএনজি স্টেশনগুলো ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। কিন্তু গ্যাস বিক্রি বন্ধের সময় কমানোর দাবি জানান সিএনজি স্টেশন মালিকেরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। | ঢাকা বিভাগ,সিএনজি,ঢাকা,ছাপা সংস্করণ,ঢাকা সংস্করণ | রোববার থেকে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন | national |
https://samakal.com/whole-country/article/2203102630/পড়ানোর-কথা-বলে-কক্ষে-ডেকে-ছাত্রকে-বলাৎকার-করেন-মাদ্রাসা-শিক্ষক | পড়ানোর কথা বলে কক্ষে ডেকে ছাত্রকে 'বলাৎকার' করেন মাদ্রাসা শিক্ষক | গাজীপুরের টঙ্গীতে ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আব্দুর রহিম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার ভায়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই মেহেদি হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকার মারকাজুল উম্মাহ আল-ইসলামী বাংলাদেশ নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন গ্রেপ্তার শিক্ষক আব্দুর রহিম। গত রোববার রাতে পড়ানোর কথা বলে মাদ্রাসার বোর্ডিং থেকে ওই শিশুকে শিক্ষকের কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাকে বলাৎকার করা হয়। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে নানাবিধি ভয়-ভীতিও দেখানো হয়। সোমবার সকালে শিশুটির বাবা শিশুটিকে দেখতে এস শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে এর কারণ জানতে চায়। শিশুটির বাবার চাপ প্রয়োগের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শিশুটি তার বাবাকে জানায়। পরে শিশুটির বাবা থানা পুলিশকে অবগত করন। এসআই মেহেদি বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পালিয়ে যান। সোমবার দিনভর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলমান। | গাজীপুর,টঙ্গী,ছাত্রকে বলাৎকার,বলাৎকার | : পুলিশের সৌজন্যে | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2020/06/22/541347 | এমপি দুর্জয়কে ঘিরে সর্বত্র তোলপাড় | মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে ঘিরে জেলার সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দুর্জয় ও তার ঘনিষ্ঠজনদের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, বখড়াবাজি নিয়ে প্রকাশিত খবরই এখন আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, অফিস-আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, চায়ের দোকান সবখানেই একই আলোচনা। ওয়েস্টিন হোটেলে পাপিয়াকান্ড নিয়েও তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক ও আলোচনা-সমালোচনা আছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরেই দুর্জয় এমপি ও তার সহযোগীদের নানারকম দুর্নীতি-লুটপাটের এন্তার তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তার অন্যতম দুর্নীতির একটি হচ্ছে, আরিচা ঘাটের কাছে নদী ভাঙন ঠেকানোর নামে সরকারি টাকায় বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং তা নিহালপুরে পরিত্যক্ত খন্দকার ইটভাটায় মজুদ করে বিক্রি। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। বিআইডব্লিউটিএ সাধারণ নাব্য সংকটের কারণে ড্রেজিং করে। কিন্তু এখানে এবার কোনো নাব্য সংকট হয়নি। শুধু এমপির বালুর ব্যবসার জন্য এ ড্রেজিং করা হয়। যে কারণে এবার বর্ষা আসার আগেই আরিচায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার সব ধরনের ঠিকাদারি কাজ চলে দুর্জয়ের ইঙ্গিতে। তার নিয়ন্ত্রিত দল-উপদলের নেতাদের খুশি না করে সেখানে কোনোরকম কর্মকান্ড চালানোর দুঃসাহস রাখেন না ঠিকাদাররা। হাটবাজার ইজারা নেওয়া, খেয়াঘাট বরাদ্দ পাওয়া, খাসজমি ইজারা পাওয়া থেকে শুরু করে ব্রিকফিল্ডে মাটি সাপ্লাই দেওয়ার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত চাঁদা পরিশোধ করে তবেই পা ফেলা যায়। মাটি খননের নিষিদ্ধ এসকেবিউটর ভেকু মেশিন চলে শতাধিক। হাজার হাজার একর পলি জমি মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ড্রেজিং চলছে অবিরাম। স্পিডবোট চলছে কাজীর হাট রুটে চরম ঝুঁকি নিয়ে। এসব ক্ষেত্রে কেবল এমপির নির্দেশনাকে পুঁজি করেই চালাচ্ছে তারা। | null | নাঈমুর রহমান দুর্জয় | national |
https://www.ajkerpatrika.com/149181/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%C2%A0 | বাইডেন আমাকে ভুল বুঝলেও কিছু করার নেই: সৌদি যুবরাজ | সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে ভুল বুঝলেও এ নিয়ে তাঁর কিছু করার নেই। মার্কিন 'দ্য আটলান্টিক' ম্যাগাজিনে আজ বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বিন সালমান এই মন্তব্য করেন।সাক্ষাৎকারে সৌদি আরবের নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন তিনি।মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বাইডেনের আমেরিকার স্বার্থ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করা বাইডেনের ব্যাপার। আমাদের যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে লেকচার দেওয়ার অধিকার নেই। বাইডেন ভুল বুঝল কি না তা নিয়ে পরোয়া করি না।সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর সৌদি আরবের মানবাধিকার ইস্যু ও ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির জড়িত থাকার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।বাইডেন প্রশাসন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় যুবরাজ সালমানকে জড়িয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিন সালমান। | আরব বিশ্ব,সৌদি আরব,বাইডেন | সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। | international |
https://www.dailynayadiganta.com/uk/378196/কেট-মেগানের-ঝগড়ায়-টালমাটাল-ব্রিটেনের-রাজপরিবার | কেট-মেগানের ঝগড়ায় টালমাটাল ব্রিটেনের রাজপরিবার | দুই পুত্রবধূর ঝগড়া সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের খুব সাধারণ ব্যাপার। ঝগড়া থেকে পরিবারে ভাঙন হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু সেই ঝগড়া যখন রাজপরিবারে হয়, তখন তা আর সাধারণ থাকে না। যেমনটা চলছে বাকিংহাম প্যালেসে। ব্রিটেনের রাজপরিবারের দুই পুত্রবধূ কেট মিডলটন এবং মেগান মার্কেলের মধ্যে মুখ দেখাদেখি প্রথম থেকেই নেই। এই নিয়ে কানাঘুঁষো প্রায় শোনা গেলেও, প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলার হিম্মত দেখায়নি। রাজতন্ত্র বলে কথা। গত মে মাসে পরিবারের বিবাহ অনুষ্ঠানে দুই বউমাকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে সেই দৃশ্য বিরল হয়ে ওঠে। নিন্দুকেরা বলতে শুরু করে রানি এলিজাবেথের সংসারে বোধহয় ফাটল ধরেছে। যদিও গত ক্রিসমাস দিনের দুই পুত্রবধূ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু তাতে কী? খবর হলো, দু'জনের মধ্যে বিবাদ এখনো শেষ হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকা অনুযায়ী, ডাচেস অব কেমব্রিজ রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে দাবি করেছেন, মেগান মার্কেল রাজ পরিবারের পৌঁছনোর জন্য তাকে ব্যবহার করেছিলেন। উল্টোদিকে, মেগান মার্কেলের মতে, কেট মিডলটন রোজ তাকে তিরস্কার করেন। এখানেই শেষ নয়, জল্পনা বাড়িয়ে কেনসিংটন প্যালেস ঘোষণা করে, প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান তাদের প্রথম সন্তানের জন্মের আগে প্যালেস ছেড়ে ফ্রগমোর কটেজে চলে যাবেন। খবর আরো আছে। জানা গেছে, রাজপ্রাসাদের মধ্যেই একদিন কেট এবং মেগান ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। কেট নাকি মেগানকে মুখের উপর বলেছেন, তার কর্মচারীদের আদেশ করার অধিকার মেগানের নেই। এইসব খবর থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, দুই জা অর্থাৎ মেগান এবং কেটের সম্পর্ক তলানিতে। রাজপ্রাসাদের কাজিয়া টেমস নদীর পানিতে আলোড়ন আগামী দিনেও বাড়াবে বলে রাজ বিশেষজ্ঞদের মত। | null | কেট | international |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/বিপ্লবী-নায়ক-মোহাম্মদ-ফরহাদ | বিপ্লবী নায়ক মোহাম্মদ ফরহাদ | কমরেড ফরহাদকে প্রথম দেখেছিলাম ১৯৬৫ সালে। 'কবীর ভাই' নামে তাঁকে জানতাম। পরে জেনেছিলাম, এই 'কবীর ভাই'ই হলেন পার্টির আন্ডারগ্রাউন্ড নেতা কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ। ডাকনাম বাদল। কমরেড ফরহাদের সঙ্গে দুই দশকের বেশি সময় একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পথ চলেছি। সভা-সমাবেশ-মিছিল-বৈঠকে, আত্মগোপন অবস্থায় গোপন 'ডেনে', যুদ্ধক্ষেত্রে গেরিলা ক্যাম্পে, বিদেশে, মাসের পর মাস জেলখানায় পাশাপাশি চৌকিতে থেকেছি। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সংস্থাতেও তাঁর মৃত্যুর আগপর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করেছি। জনসভায় তিনি যুক্তি দিয়ে বক্তৃতা করতেন। ফরহাদের বক্তৃতায় অ্যাজিটেশন থাকত কম। রাজনীতির গূঢ় কথা যারা শুনতে আগ্রহী, তারা গভীর মনোযোগের সঙ্গে তাঁর কথা শুনত এবং তাঁর বক্তব্য যে বোঝা গেছে, এ বিষয়ে সন্তুষ্টি নিয়ে সে ধরনের সব মানুষ ফিরত। কমরেড ফরহাদ অসাধারণ কোনো তাত্ত্বিক ছিলেন না। প্রায়োগিক অবস্থান থেকে তিনি তত্ত্বের দিকে হাত বাড়াতেন। বাস্তব প্রয়োজনে যেসব তত্ত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক, সেসবের ওপর ফরহাদের দখল ছিল ভালো। বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনি বাস্তব জ্ঞানের সঙ্গে তত্ত্বকে যুক্ত করে কাজ করতেন। কমরেড ফরহাদের কাজে প্রয়োগের দিকটি প্রাধান্য পেত। এর কারণ হলো, তাঁর দৈনন্দিন রাজনৈতিক কাজগুলো এত বহুমাত্রিক, বিস্তৃত ও প্রসারিত ছিল যে তত্ত্বচর্চায় আরও মনোযোগ দেওয়ার মতো সময় তিনি পেয়ে উঠতেন না। কমরেড ফরহাদ ছিলেন একধরনের সুনির্দিষ্টবাদী 'পার্টিকুলারিস্ট' এবং একই সঙ্গে বিশুদ্ধবাদী বা 'পারফেকশনিস্ট' ধাঁচের মানুষ। কাজকর্ম সম্পর্কে কর্মীদের ব্রিফিং করার সময় তিনি ডিটেইলসে চলে যেতেন। কাজের প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ নিখুঁত হতে হবে, কর্মীদের প্রতি তাঁর সব সময় এরূপ প্রত্যাশা থাকত। কর্মীরা এ কারণে তাঁর প্রতি একটা ভয়মিশ্রিত সম্মানবোধ অনুভব করত। ছোট-বড় কোনো ঘটনা, সেটা রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বা অন্য যা কিছুই হোক না কেন, তা সাজিয়ে-গুছিয়ে সুন্দরভাবে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয় প্রতিভাসম্পন্ন একজন সংগঠক। তিনি প্রথমে একটি নিখুঁত পরিকল্পনার ছক নিজের মনে এঁকে নিয়ে কাজটির বিভিন্ন অংশ সম্পাদনের জন্য উপযুক্ত কর্মীদের দায়িত্ব দিতেন। কাজের জন্য একটি কর্মী টিম গড়ে তুলে সেই টিমকে উদ্বুদ্ধ করে কাজে নামিয়ে দিতে পারতেন। রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণে ফরহাদ ছিলেন অসাধারণ ধীসম্পন্ন। রাজনৈতিক ট্যাকটিশিয়ান হিসেবেও তিনি ছিলেন অনন্য প্রতিভার অধিকারী। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক সব বিষয়কে তিনি যেমন তাৎক্ষণিকতার মাপকাঠিতে বিচার করতেন, তেমনি সময়ের আরও বিস্তৃত ক্যানভাসে বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে কর্তব্য নির্ধারণ করতে পারতেন। কাজের কৌশল তিনি এমনভাবে গ্রহণ করতেন, যাতে নির্ধারিত দূরবর্তী লক্ষ্যাভিমুখে কাজের একটি সচল গতিমুখীনতা থাকে। সেই গতিমুখীনতার স্টিয়ারিংটি ধরা থাকত তাঁর নিজের হাতে। এভাবে তিনি হয়ে উঠতেন সমগ্র কর্মপ্রক্রিয়ার একটি প্রধান নির্ধারক শক্তি, তার অপরিহার্য কেন্দ্রীয় উপাদান। গণ-আন্দোলনের গতিধারা সম্পর্কে ফরহাদের অসাধারণ প্রায়োগিক জ্ঞান ছিল। আন্দোলনের গতি সম্পর্কে তিনি খুব ভালো হিসাব করার ক্ষমতা রাখতেন। কখন এগোতে হবে আর কখন পেছাতে হবে, কিংবা কখন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে আর কখন সর্বশক্তি নিয়ে আক্রমণ পরিচালনা করতে হবে-এসব বিষয়ে তাঁর প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান ছিল অসাধারণ। ষাটের দশকের আইয়ুব শাহির বিরুদ্ধে সংগ্রামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ-আন্দোলনের প্রক্রিয়াকে পরিচালনার ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ তিনি রাখতে পেরেছিলেন। কমরেড ফরহাদকে তাই বাষট্টির ছাত্র আন্দোলনের মস্তিষ্ক, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের নেপথ্যের স্থপতি, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কন্ট্রোল রুমের নায়করূপে ভূষিত করা হয়ে থাকে। কমরেড ফরহাদ মুক্তিযুদ্ধের একজন শীর্ষ সংগঠক ছিলেন। পার্টির শক্তিকে সশস্ত্র যুদ্ধের কাজে সুশৃঙ্খলভাবে নিয়োজিত করা, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর সামরিক সংগঠন পরিচালনাসহ মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি বিশেষ বিচক্ষণতার পরিচয় দেন। তিনি একজন বিশাল ক্যারিশমাসম্পন্ন জননেতা না হয়েও জাতীয় রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় অবস্থানে চলে যেতে পেরেছিলেন। তিনি ছিলেন নেতাদের 'নেতা'। নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, নিয়মিত খোঁজখবর, পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাৎ, সলাপরামর্শ-এগুলো দিয়ে ভরে থাকত তাঁর 'দৈনিক রুটিন'। অনেকেই তাঁর কাছে বুদ্ধি নেওয়ার জন্য আসত এবং সবাই তাঁর পরামর্শকে মূল্য দিত। কমরেড ফরহাদ ভেতরে-ভেতরে খুবই রোমান্টিক মনের মানুষ ছিলেন। ছিলেন অনুভূতিপ্রবণ ও গভীরভাবে সংবেদনশীল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে তিনি ভালোবাসতেন। জমিয়ে আড্ডা মারতে, মন খুলে হাসি-ঠাট্টা করতে পছন্দ করতেন তিনি। কমরেড ফরহাদ স্বপ্ন দেখতেন বিপ্লবের। সময় যেন তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণান্তকর প্রয়াসে তিনি তাঁর সর্বসত্তা নিবেদন করেছিলেন। তিনি ঘটনাবলিকে ইচ্ছাশক্তি দিয়ে ত্বরিতগতিতে প্রবাহিত করার নানা প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ নয় এমন কিছু কৌশলী পদক্ষেপও তিনি গ্রহণ করতেন। শেষনিশ্বাস পর্যন্ত তিনি ছিলেন সর্বাংশে একজন কমিউনিস্ট। সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ ও মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের আদর্শের প্রতি তিনি ছিলেন একনিষ্ঠভাবে আত্মনিবেদিত। তাঁর সমস্ত জীবন, সত্তা ছিল সর্বতোভাবে পার্টির জন্য নিবেদিত। কমরেড ফরহাদ ও কমিউনিস্ট পার্টি ছিল এক নাড়িতে বাঁধা, অভিন্ন সত্তা। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন জাতীয় নেতা। চিরঞ্জীব কমরেড ফরহাদ, লাল সালাম! মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম: সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি | স্মরণ,লেখকের কলাম | কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ | opinion |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/08/%e0%a6%86%e0%a6%9c-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%87/ | আজ থেকে কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু | আজ থেকে ট্রেনের অর্ধেক টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বর্তমানে ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুন) রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, যাত্রীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে আজ থেকে কাউন্টারেও ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে আরও কয়েক জোড়া আন্ত:নগর ট্রেন চালু করা হবে। আজ থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যা গণমাধ্যমে জানান হয়। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহের টিকিট ইস্যুর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে। ফলে আজ থেকে কাউন্টারেও টিকিট বিক্রি হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) শাহাদাত আলী সরদার জানান, করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে যাত্রীবাহী ট্রেন ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করবে। এখন টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। আজ থেকে অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারেও টিকিট পাওয়া যাবে। | কাউন্টার,টিকিট,ট্রেন,রেলওয়ে | দুই মাসেরও অধিক কাল পরে কমলাপুর স্টেশনের কাউন্টারে আজ থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/19127573/দেখতে-হাসপাতালে-গিয়ে-শিক্ষার্থীদের-তোপের-মুখে-উপাচার্য-ও-প্রক্টর | নুরকে দেখতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টর | মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর গোলাম রব্বানী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরকে রোববার রাতে দেখতে যান উপাচার্য ও প্রক্টর। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে চলে যান। এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, 'স্যার দায়িত্ব পালন করতে না পারলে আপনি পদত্যাগ করেন। যদি মনে করেন, আপনি পারবেন না, তাহলে পদত্যাগ করেন। আমাদের গুলি করেন স্যার। আমাদের মেরে ফেলেন। আমরা কিছু করব না।' এ সময় আরেক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে প্রশ্ন করেন, 'আপনারা সরকারের ও ছাত্রলীগের আর কত চামচামি করবেন?' আরেক শিক্ষার্থী প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে উপাচার্যকে বলেন, 'স্যার (প্রক্টর) আমার অভিভাবক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। উনি আমাকে রক্ষা করবেন। উনি আমার বাবার বয়সী। উনি আমাকে বলেছেন, তোমাকে বহিষ্কার করব। পুলিশে দেব। আমার বুকটা ফেটে গেছে।' তোপের মুখে উপাচার্য ও প্রক্টর হাসপাতালের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে থাকলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দেন। উল্লেখ্য, রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভিপি নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২৪ জন আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয় ভিপির কক্ষের কম্পিউটার, চেয়ারসহ আসবাবপত্র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে ডাকসু ভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে ভিপি নুরসহ তার অনুসারীদের সঙ্গে মঞ্চের নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে মঞ্চের কিছু নেতাকর্মী নুরদের উদ্দেশে ডাকসু ভবনের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। মঞ্চের কিছু নেতাকর্মী ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপরে উঠতে চাইলে নুরের অনুসারীরা ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে দেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন ডাকসু ভবনের মূল ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কিছু অনুসারীও ঢুকে পড়েন ডাকসুতে। সনজিত-সাদ্দাম ভিপি নুরের কক্ষে গিয়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগতদের বের করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু এতে ভিপি আপত্তি জানালে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ সময় ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভিপি নুরের কক্ষে থাকা তার সংগঠন 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের' নেতাকর্মীদের এক এক করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। সিঁড়িতে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা তখন তাদের লাঠিপেটা করেন। এক পর্যায়ে সনজিত ও সাদ্দাম ভিপির কক্ষ থেকে বের হয়ে মধুর ক্যান্টিনের দিকে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে ভিপির কক্ষে ঢুকে লাইট বন্ধ করে নুর ও তার অনুসারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে নুরসহ আহত হন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, রাশেদ খানসহ সংগঠনটির ২৪ নেতাকর্মী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় তাদের বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। | ডাকসু,ভিপি নুর,নুরের ওপর হামলা,ঢাবি,ঢাবি উপাচার্য,উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান,প্রক্টর গোলাম রব্বানী | নুরকে দেখতে হাসপাতালে ভিসিভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া | national |
https://www.dailynayadiganta.com/dhaka/359985/ভেদরগঞ্জ-উপজেলা-চেয়ারম্যান-আনোয়ার-হোসেন-মাঝির-ইন্তেকাল | ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মাঝির ইন্তেকাল | শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝি ইন্তেকাল করেছেন। কিডনি ও ডায়াবেটিকসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নাল্লিাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আজ মাগরিবের নামাজের পর শাহবাগ জামে মসজিদে প্রথম ও এশার নামাজের পর বাইতুল মোকাররম মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাদ যোহর জানাযা নামাজ শেষে উত্তর তাবুনিয়ায় অবস্থিত পারিবারিক কবরস্থানে আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝিকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়। তার মৃত্যুতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব সাঈদ আহমেদ আসলাম, আব্দুল হামিদ সরদার, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা যুবদল সভাপতি মোস্তাক আহমেদ মাসুম বালাসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তারা এক শোক বার্তায় বলেন, তার মৃত্যুতে ভেদরগঞ্জবাসী একজন নেতা নয় একজন অভিভাবককে হারিয়েছে। তিনি জনসেবামূলক কাজ করে সারাজীবন কাটিয়েছেন। তিনি আমাদের একজন অভিভাবক ছিলেন। আল্লাহতায়ালা তার জীবনের সকল অপরাধ ক্ষমা করে তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন এবং তার পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝি তার জীবদ্দশায় ভেদরগঞ্জ উপজেলার বৃহত্বর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বার এবং উক্ত ইউনিয়নটি বিভক্ত হওয়ার পর উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা পরিষদ হওয়ার পর থেকে পর পর ২বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মত ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সদস্য ও উত্তর তারাবুনিয়া আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। | শরীয়তপুর,ভেদরগঞ্জ | ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মাঝি | national |
https://samakal.com/politics/article/220399806/জাতীয়-ঐক্য-গড়ে-তোলার-চেষ্টা-চলছে-গণফোরাম | জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে: গণফোরাম | গণতন্ত্রমনা অসাম্প্রদায়িক জাতীয় ঐক্যের শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক গণফোরাম। দলটির নেতারা বলেছেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে আমরা রাজপথে থাকব এবং আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরাম একাংশের আয়োজিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব কথা বলেন। গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে, নিম্ন-মধ্যবিত্তের জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। এই সরকার কালোবাজারি মুনাফাখোর দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে দমন না করে একেবারেই নির্বিকার। বরং জনগণের পক্ষে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল করলে লাঠিপেটা করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এ সরকার জনগণের সরকার নয়। তিনি বলেন, সরকার চাণৈক্য কৌশলে আমলানির্ভর নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। এসব আমলার অধিকাংশই সরকারের আজ্ঞাবহ, বিশ্বস্ত এবং সরকারি নির্দেশে কাজ করতে অভ্যস্ত। সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী। নির্বাচনকালীন সময় দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ বা কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি, হবে না। নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক তারা কার্যত কিছুই করতে পারেনি। সেজন্য দেশে আজ অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসীন রশিদ, মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য ফজলুল হক সরকার, রতন ব্যানার্জী, মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান বীরপ্রতিক, আতাউর রহমান, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, খান সিদ্দিকুর রহমান, আবুল হাসনাত, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক প্রমুখ। | জাতীয় ঐক্য,গণফোরাম | জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরাম একাংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা | politics |
https://www.prothomalo.com/feature/naksha/ভিনদেশির-কেশসজ্জায় | ভিনদেশির কেশসজ্জায় | বিনোদ বেণি বাঁধার দিন শেষ হয়ে যায়নি। তেমনি খোঁপায় তারার ফুল দেওয়ারও। এখন আর সখীরা যে বেঁধে দেয় না বিনোদ বেণি। বরং রয়েছে কেশসজ্জার জন্য বিশেষজ্ঞ। কেশ সাজিয়ে তাতে অলংকার বসিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। বাতলে দিচ্ছেন কোনটি চলছে এখন, আর কোনটি নয়। এমনকি কেশসজ্জার সঙ্গে মানানসই করে হবে পোশাক, নাকি পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে কেশসজ্জা, সে নিদানও দিচ্ছেন তাঁরা। পুরোনো সজ্জারীতিকে ভেঙেচুরে নতুন রূপ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন সজ্জাও উদ্ভাবন করছেন েকশসজ্জাকার। এমনকি পশ্চিম আর পুব যেমন নিজেদের মতো করে চলছে সমান্তরালে, তেমনি উভয়ে মিলেও যাচ্ছে সৃজনের প্রয়োজনে। প্রতি বছর দুবার চার ফ্যাশন রাজধানীর (নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিস, মিলান) ফ্যাশন উইকে মেলে নতুন চলতি ধারা (ট্রেন্ড)। সেসব আবার অনুসৃত হয় বিশ্বজুড়ে। এ বছর চুলের বেশ কিছু নতুন চলতি ধারা অনুসৃত হচ্ছে। এ রকম কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বেণি ট্রান্ড্রিলস। বেণি করা হবে বটে, তবে অলকচূর্ণ ঠিকই কপোলে কাতুকুতু দেবে, অর্থাৎ লতাগাছের আকর্ষকের মতো মুখের দুপাশে অবাধ্য হয়ে থাকবে। এবার আরও একটা ধারার ট্রেন্ড বেশ চলছে। ফেস ফ্রেমিং লেয়ারের সঙ্গে মেসি বান। মুখের আদলের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে চুলকে সেভাবে সেট করা। পেছনে চুল নিয়ে অনেকটা হাতখোঁপার মতো করে অবিন্যস্ত করা খোঁপা। এর সঙ্গে সাটিনের হেয়ার ব্যান্ড আর পাথর বসানো হেয়ারক্লিপ হবে সোনায় সোহাগা। এরপর ধরা যাক, টপনট। চূড়া করে বাঁধা। এটা সব সময়ই ছিল। এবার ইন ট্রেন্ড। তবে বাঁধার ধরনে এসেছে নতুনত্ব। এ বছর অবশ্য আশি আর নব্বই দশক বেশ প্রাধান্য পাচ্ছে। পাশ সিঁথি করে দুই কানের পাশে হেয়ারপিন লাগিয়ে স্টাইল করা হচ্ছে। ব্লান্ট আর লেয়ারড ববও এবারের চাহিদাপত্রে রয়েছে। আছে নব্বইয়ের 'দ্য ফ্রেন্ডস' প্রাণিত র্যাচেল হেয়ারস্টাইল। ভারী লেয়ারের সঙ্গে ফ্রিঞ্চের যৎসামান্য স্টাইলিং। এ বছর আরও আছে নানা ধরনের ব্যাংস। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের বিষয়টি একটু আলাদা। বলিউড ছায়াছবির কারণে অনেক কিছুই আসে সেখান থেকে। এ ছাড়া উপমহাদেশের দেশগুলোর কিছু বিষয়ে মিল রয়েছে। এখানকার আবহাওয়া, সংস্কৃতি, পোশাক, কেশ আর ত্বকের রঙের কারণে। ফলে এই অঞ্চলের কেশসজ্জায়ও তাই মিল পাওয়া অনেকাংশে। এই যেমন শ্রীলঙ্কার শীর্ষ সারির কেশবিশেষজ্ঞ নয়না নকশার জন্য যে চারটি কেশসজ্জা করে দিয়েছেন, তার প্রতিটিই পশ্চিমপ্রাণিত। এসব স্টাইলে ঐতিহ্যের সঙ্গে যেমন আধুনিকতার সংমিশ্রণ ঘটেছে, তেমনি পশ্চিমকে পুবের আবহে খাপ খাইয়ে নিজের মতো স্টাইলে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এসব স্টাইল গাউন বা সান্ধ্যকালীন পোশাকের সঙ্গে যায়। পাশাপাশি অনায়াসে মানিয়ে যাবে শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গেও। কেশসজ্জায় ফ্রেঞ্চ টুইস্টের আধুনিক উপস্থাপনা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে নব্বই দশকের ব্রেইডেড বান বা বেণি করে খোঁপা করা। 'বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট' রূপকথার রাজকুমারী বেলের বলরুম হেয়ারস্টাইলের মতো চুড়ো করে বাঁধা খোঁপা করে সামনের চুল ছেড়ে দিয়েছেন ঢেউখেলানো জলপ্রপাতের মতো। কিংবা বিভাইভ স্টাইল তিনি তাঁর মতো করেই সাজিয়েছেন। মানিয়ে যাবে যেকোনো পরিবেশ, সংস্কৃতি আর উপলক্ষে। ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিজ ছবিতে অড্রে হেপবার্নের বিহাইভ স্টাইল আজও সমকালীন। ফ্রেঞ্চ টুইস্ট, হাই চিন অন এবং খাটো ব্যাংসের সমন্বয়ে মাত্রা পায় এই কেশসজ্জা। অড্রের সেই চুলের সাজের অনুসরণে যোগ করা হয়েছে পাথর বসানো কেশ-অনুষঙ্গ। এসবই ফ্যাশনপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। বিয়ের কনের চুলের সাজ হিসেবেও মানানসই। সাদা গাউন আর স্বচ্ছ সাদা ওড়নায় তাই চমৎকার মানাবে। তবে প্রাচ্যের কনের পোশাকও যে মানাবে না, তা নয়। এ ক্ষেত্রে এই কনে দীর্ঘাঙ্গী হলে দেখতে ভালো লাগবে। ডিজনির বিখ্যাত বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট রূপকথার রাজকুমারী বেলের বলরুম চুলের সজ্জা এই আভা গার্ড কেশসজ্জা। অর্ধেক চুল থাকবে ওঠানো, অর্ধেক চুল নিচু করে নামানো, এই স্টাইল এ বছর পাবে জনপ্রিয়তা। চূড়া করে বাঁধা খোঁপার সঙ্গে জলপ্রপাতের মতো ঢেউখেলানো চুল সামনে আলগোছে ছেড়ে দেওয়া। এই স্টাইল কিছুটা ভারসাম্যহীন, তবে জমকালো। এই স্টাইলের সঙ্গে অফ শোল্ডার পোশাক হবে আদর্শ। আবার অফ শোল্ডার ব্লাউজ দিয়ে পরিপাটি করে শাড়িও পরা যেতে পারে। বেণি করা বান ছিল নব্বই দশকের বিভিন্ন উৎসবের সবচেয়ে প্রিয় কেশসজ্জা। এই স্টাইলে চুল অনেকভাবেই বাঁধা যায়। এ বছর এই স্টাইল ঘুরে এসেছে অন্যভাবে। এবারের চুলে দেওয়া হয়েছে ডাবল ব্রেইডেড বান। মাথার মাঝবরাবর সিঁথি করে দুইপাশে ডাচ স্টাইলে বেণি করে পেছনে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটাকে টু স্ট্রান্ড ব্রেইডসও বলে। বাকি চুল নিচু করে ফুলের আদলে খোঁপা করা। সেই খোঁপায় দেওয়া হয়েছে ছোট ছোট ফুলের নকশা করা পিন। যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে নজরুলের সেই গান: মোর প্রিয়া হবে এস রাণী/ দেব খোঁপায় তারার ফুল। ঐতিহ্যবাহী এই কেশসজ্জার পুরোটায় আছে আধুনিকতার নিটোল পরত। এই কেশ কনেকেও মানাবে। | স্টাইল,নকশা | চুলের সাজে এমন বিশেষ নকশা দেখা যাবে এ বছর। মডেল: মাহেলেকা জাবিন। নকশার আয়োজনে কেশসজ্জা করেছেন শ্রীলঙ্কার রূপ ও কেশসজ্জা বিশেষজ্ঞ নয়না করুনারত্নে। কৃতজ্ঞতা: ল্যাভিস বিউটি পারলার, ছবি: কবির হোসেন | life-health |
https://www.ajkerpatrika.com/48164/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF | অনলাইন কেনাকাটায় সাবধানতার পরামর্শ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের | অনলাইনে কেনাকাটায় ক্রেতা ও ভোক্তাদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি একাধিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য কেনাকাটায় প্রতারণার ঘটনা সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।রোববার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকশি স্বাক্ষরিত এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া 'অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা হতে সাবধান থাকুন-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়' শীর্ষক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিটি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত অনলাইন কেনাকাটার বিজ্ঞাপনের শেষে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।সম্প্রতি ইভ্যালি, ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, বুমবুম, সিরাজগঞ্জ শপসহ ২০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসারে ৬ লাখের বেশি গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছ থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ, এরা ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য পাঠায়নি।এরই মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ই-অরেঞ্জের দুই মালিকও বর্তমানে কারাগারে। ই-কমার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ভারতের কারাগারে বন্দী রয়েছেন। আরও অনেককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে রিং আইডির পরিচালককে।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ই-কমার্স খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। একই সময়ের ই-কমার্স পরিচালন আইনও মধ্যে প্রণয়ন করা হবে। তবে আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার আগে ক্রেতাদের অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। | ই-কমার্স,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়,কেনাকাটা | অনলাইন কেনাকাটায় সাবধানতার পরামর্শ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের | economy |
https://samakal.com/politics/article/200626449/হাসিনার-কারামুক্তি-দিবস-পালিত | শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস পালিত | নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসের দ্বাদশ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। করোনা সংকটের কারণে আনুষ্ঠানিক কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও দিনটি উপলক্ষে দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা এবং দেশ ও বিশ্বকে করোনা থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৭ সালের যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বন্দি করা হয়েছিল, সেদিন শুধু তাকেই নয়, গণতন্ত্রকেও বন্দি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হন তিনি। এ দিনটি প্রকৃতপক্ষে শুধু শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস। কারণ তিনি সারাজীবন ধরে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণা। তিনি যেভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন- তা বিশ্বের সামনে এক অনন্য নেতৃত্বের উদাহরণ। তিনি আজ শুধু প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি নন, বিশ্ব নেতার আসনে আসীন। দিনটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী রাজধানীর ওয়ারীর নিজ বাসভবনে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করেন। মহানগর ও থানা-ওয়ার্ড নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সংগঠন কার্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে। সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান স্বপন, দেবাশীষ বিশ্বাস, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, তারিক সাঈদ প্রমুখ। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী মাজারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে। উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, মজিবুর রহমান বাবুল, প্রকৌশলী মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ হাইকোর্ট মাজার মসজিদে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে। দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর বাড্ডায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে মৎস্যজীবী লীগ। সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর এবং কার্যকরী সভাপতি সাইফুল ইসলাম মানিকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। | শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস,শেখ হাসিনা | দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে আওয়ামী লীগ ফোকাস বাংলা | politics |
https://www.dailynayadiganta.com/Incident-accident/586373/রাজধানীতে-বৃষ্টির-সময়-বিদ্যুৎস্পৃষ্টে-২-শিশুসহ-৩-জনের-মৃত্যু | রাজধানীতে বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু | রাজধানীর মালিবাগে বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে এক শিশু বিদ্যুতায়িত হলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যায় অপর দুজন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেলের পিছনে সোনা মিয়ার গলির মাজেদা বেগমের টিনসেড বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া দুই শিশুর নাম- সাবিনা আক্তার পাখি (১০) ও ঝুমা (১২)। অপর ব্যক্তির নাম আবুল (৬৫)। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনের মারা যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। নিহত পাখির মা কুলসুম বেগম গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চড় মানিকপুর গ্রামে। বর্তমানে সোনা মিয়ার গলির ওই বাড়িটিতে এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্বামী রিকশাচালক মহসিন আলিকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত পাখি। তিনি জানান, দুপুরে বৃষ্টির সময় পাখি পাশের বাসার ভাড়াটিয়া ঝুমার সাথে বাসার সামনে খেলছিল। এ সময় ঘরের লোহার দরজায় হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে সে। এটি দেখে ঝুমা পাখিকে ধরতে গেলে সেও বিদ্যুতায়িত হয়। পরে বাড়ির দারোয়ান তাদের দুজনকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: শরিফুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির সময় বাসার সামনের বিদ্যুতের খুঁটির উপর বজ্রপাত হয়। এতে তাদের টিনসেড বাসাটি বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুসহ তিনজন অচেতন হয়ে পড়ে। পরে ঢাকা মেডিকেলে পাখিকে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাকি দুইজনকে মালিবাগ কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। ঝুমা সিলেট জেলার জাবেদ আলীর মেয়ে। | বিদ্যুৎস্পৃষ্ট,মৃত্যু,রাজধানী,বৃষ্টি,বজ্রপাত | বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। | national |
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2021/08/02/676194 | বরিশাল সিটি কর্মকর্তার চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, চোর গ্রেফতার | বরিশাল সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরির দুইদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে অভিযুক্ত চোরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম মৃদুল হাসান (২২)। তিনি নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়া এলকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। রবিবার রাতে নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুদঘাটা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার ও অভিযুক্ত চোরকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। রবিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুদঘাটা এলাকা থেকে ওই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং অভিযুক্ত চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মৃদুল আরও কোনও মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম। বিডি প্রতিদিন/কালাম | বরিশাল, সিটি, কর্মকর্তা, চুরি, মোটরসাইকেল, উদ্ধার, চোর, গ্রেফতার | বরিশাল সিটি কর্মকর্তার চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, চোর গ্রেফতার | national |
https://www.dailynayadiganta.com/europe/641557/রুশ-চ্যানেল-বন্ধের-প্রতিক্রিয়ায়-রাশিয়ায়-বন্ধ-ডয়চে-ভেলে | রুশ চ্যানেল বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ায় বন্ধ ডয়চে ভেলে | জার্মানিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় রুশ সরকার রাশিয়াতে জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। একইসাথে মস্কোতে কাজ করা ডয়চে ভেলের কর্মীদের কাজের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মস্কোতে অবস্থিত ডয়চে ভেলের কার্যালয় রুশ সরকার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। একইভাবে রাশিয়ায় ডয়চে ভেলের সব ধরনের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। এর আগে গত বুধবার সম্প্রচারের লাইসেন্স না থাকায় জার্মানিতে রাশিয়ার আরটির জার্মান ভাষার চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়। জার্মানিতে টেলিভিশন সম্প্রচারে তত্ত্বাবধান ও লাইসেন্স দানকারী কমিশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'চ্যানেলটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেননা এটির সম্প্রচারে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নেই।' আরটি ডিডব্লিউ নামের এই চ্যানেলটি গত বছর ২২ ডিসেম্বর জার্মান কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ইউরোপের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এটি তার সম্প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। আরটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাবল ও স্যাটেলাইট সম্প্রচারে এর সার্বিয়ান এক লাইসেন্স রয়েছে যা চ্যানেলটিকে জার্মানিতে সম্প্রচারের অনুমতি দেয়। কিন্তু জার্মান কর্তৃপক্ষ বলছে, চ্যানেলটির সম্প্রচারে 'ইউরোপীয় আইনের অধীন কোনো বৈধ অনুমতি নেই।' রাশিয়া টুডে নামে ২০০৫ সালে প্রথম সম্প্রচারে যায় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় এই চ্যানেলটি। জার্মান ছাড়াও রুশ, ইংরেজি, ফরাসি, স্পেনিশ ও আরবিতে এর সম্প্রচার রয়েছে। জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে ১৯৫৩ সালে প্রথম সম্প্রচারে যায়। মোট ৩০টি ভাষায় চ্যানেলটির সম্প্রচার চালু রয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা | ইউরোপ,জার্মানি,রাশিয়া,সংবাদমাধ্যম,গণমাধ্যম | আরটি ও ডয়চে ভেলের লোগো | international |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/03/26/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%af-2/ | বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়লেন রিজভী | দীর্ঘ ৭৮৭ দিন পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়লেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে দলীয় কার্যালয় ছেড়ে যান তিনি। এখন থেকে দলীয় প্রয়োজনে যতটুকু সময় দরকার ততটুকু সময় কার্যালয়ে থাকবেন রিজভী। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন রিজভী। সে সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হোটেল লা-মেরিডিনে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন খালেদা জিয়া। এরপর একই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়। সেই আশঙ্কা ও ধারণা হতে রিজভী নিজে থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি দলীয় কার্যালয়েই অবস্থান নেবেন তিনি। এতোদিন রিজভী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ছোট একটি রুমে (সাড়ে ৪ বাই সাড়ে ৯ ফুট) কক্ষে রাত্রিযাপন করে আসছিলেন। সেখানে নিয়মিত দলীয় নেতাকর্মীরা তার সাথে কুশল বিনিময় ও প্রয়োজনীয় কাজের জন্য যাতায়াত করতেন। এই সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকেই দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন রিজভী। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজপথে ছোট-বড় পরিসরে হলেও শতাধিক মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। মিছিল করতে গিয়ে একাধিকবার সরকারি দলের লোকজন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। দুইবার আহত হয়েছেন তিনি। গত বুধবার (২৫ মার্চ) ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপরই রিজভী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আর দলীয় কার্যালয়ে রাত্রিযাপন করবেন না। দলীয় কার্যালয় হতে চলে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলাম। এখানেই আমার অনেকটা সময় কেটেছে। খুব কষ্ট হচ্ছে। যদিও আমি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছেড়ে একেবারের জন্য চলে যাচ্ছি না। দলীয় কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে আমি তখন আসবো। বিএনপির এ নেতা বলেন, আপাতত আমি আমার নিজের বাসায় থাকবো। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমি দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবস্থান করেছিলাম। এখানে থাকা অবস্থায় একটা আতঙ্ক বিরাজ করতো আমার মনে। তারপরেও বুকে সাহস নিয়ে অবস্থান করেছি। আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যতদিন পর্যন্ত অবৈধ সরকারের কারাগার হতে মুক্ত না হন ততদিন পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়েই থাকবো। কষ্ট করে থেকেছি। গতকাল দেশনেত্রীর মুক্তিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি লাগছে। রিজভী বলেন, এই সময়ের মধ্যে আমি দলের হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থেকেছি। দেশনেত্রী কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় আমি চেষ্টা করেছি নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে। তারা দলীয় কার্যালয়ে এসে যেন বিমুখ হয়ে চলে না যান। প্রসঙ্গত, সরকারের নির্বাহী আদেশে গতকাল ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপরই রিজভী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আর দলীয় কার্যালয়ে রাত্রিযাপন করবেন না। অতঃপর ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় ছেড়ে রাজধানীর ভাড়া বাসায় যান রিজভী। দলীয় কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে বিদায় জানান। তারা রিজভীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া ও শুভকামনা করেন। | null | সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। । | politics |
https://samakal.com/city-election/article/200211361/শেষ-এবার-ফলের-অপেক্ষা | ভোটগ্রহণ শেষ, ফলের অপেক্ষা | শেষ হলো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। শনিবার সকাল ৮টা শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মেয়র, কাউন্সিল ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের তিনটি পদে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। এবার ঢাকার দুই সিটিতেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এ কারণে কম সময়েই ঘোষণা করা যাবে ফল।কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা ফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেছেন, আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার জন্য কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। তবে কেন্দ্রভিত্তিক ফল দ্রুত চলে আসবে। এ থেকেই প্রার্থীরা বুঝতে পারেন কার জয় হলো আর কার পরাজয়। এর আগে সারাদিন অনুষ্ঠিত ভোটে প্রায় সবকেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো কম। রাজধানীর রামপুরা, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি খুবই নগণ্য। হাতেগোনা দুয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও ভোটারদের লাইন ছিল না। দু'য়েকজন ভোটার এসে ভোট দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীদের কর্মী ছাড়া সাধারণ ভোটার নেই বললেই চলে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রামপুরা উলন, ওয়াপদা রোড ও মহানগর আবাসিক এলাকার কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন নির্বাচনী কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টরা। অদূরে এক মেয়র প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী ভোটার স্লিপ নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু কোনো ভোটার নেই। মগবাজারে শের-ই-বাংলা স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে কোনও ভোটার চোখে পড়েনি। ভোটার না থাকায় বারান্দায় রোদ পোহাতে দেখা যায় পোলিং কর্মকর্তাদের। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রেও সকাল থেকে ভোটারের কোনো লাইন দেখা যায়নি। উত্তরা ও নিকুঞ্জ এলাকার ৭টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, এসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীদের ক্যাম্পের সামনেও খুব বেশি লোকজন নেই। তবে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের পক্ষে কিছু লোকজন দেখা যায়। এ কেন্দ্রে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর পক্ষে ছাড়া কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। এদিকে গেন্ডারিয়া হাইস্কুলের সামনে দুই কমিশনারের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেন্দ্রের বাইরে চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের জেরে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় দু'জন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। | সিটি নির্বাচন,ভোটগ্রহণ শেষ,ফলের অপেক্ষা | শনিবার দুপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালে সেনপাড়া পর্বতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থেকে তোলা | politics |
https://samakal.com/whole-country/article/201040284/কুমিল্লার-শাহ-পরান-হত্যার-জট-খুলল-পাঁচ-সেকেন্ডের-ফুটেজে | কুমিল্লার শাহ পরান হত্যার জট খুলল পাঁচ সেকেন্ডের ফুটেজে | অটোরিকশা মেরামত করতে গিয়ে আর ফেরা হয়নিকুমিল্লার লালমাই উপজেলারকিশোর শাহ পরানের। পরে তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কোনো ক্লু না পাওয়ায় খুনি শনাক্ত করতে পারছিল না পুলিশ। অবশেষে পাঁচ সেকেন্ডের একটি ফুটেজই শাহ পরানের খুনিদের কাছে পৌঁছে দেয় পুলিশকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দু'জন এবং চোরাই অটো কেনায় আরও দু'জনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়। শাহ পরান লালমাই উপজেলার বেতাগাঁও গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেটি মাঝেমধ্যে বড় ভাই শাহাদাত হোসেনের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাত। বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কিশোর শাহ পরান হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আজিম-উল-আহসান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন, লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর অটোরিকশাটি মেরাতম করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শাহ পরান। পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো ক্লু ছিল না। পরে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ খুনের রহস্য বের করতে একটি বিশেষ টিম গঠন করেন লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব। এরপর বাগমারা বাজার থেকে লাকসাম পর্যন্ত সড়কের পাশে পাওয়া মোট ১৩টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ৪৫০ ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করেন তিনি। সেই ফুটেজ ঘেঁটে মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের ফুটেজে খুনের ক্লু খুঁজে পান তারা, যা খুনিদের কাছে পৌঁছে দেয় পুলিশকে। আজিম-উল-আহসান আরও বলেন, ১৩টি সিসি ক্যামেরার মাত্র দুটিতে পাঁচ সেকেন্ডের ফুটেজে দেখা যায়, মাস্ক পরা এক যুবক পরানের অটোরিকশাটি চালাচ্ছে। পরে পরানের পরিবারও তাদের অটোরিকশাটি চিহ্নিত করে। এরপর ব্যাপক অনুসন্ধান ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার নুর উদ্দিন নুরু নামে ওই যুবককে আটক করা হয়। নুরু লালমাইয়ের জয়নগর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে পুরো খুনের ঘটনা জানায়। নুরু পুলিশকে জানায়, ওইদিন সে বাগমারা বাজার থেকে শাহ পরানের অটোরিকশাটি ৬০ টাকায় ভাড়া করে জয়নগর গ্রামে যাবে বলে। পথে একটি দোকান থেকে ১০ টাকার সুতলি (রশি) কেনে। এ সময় তার সহযোগী নাগরীপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহসহ তারা অটোরিকশাটি কৌশলে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। পরে নুরু ও শহিদ উল্লাহ মিলে শাহ পরানকে নদীর ভেতর ঝোপের মধ্যে নিয়ে সুতলি দিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর অটোরিকশা নিয়ে চলে যায় তারা। অটোরিকশাটি লাকসাম জংশনের ভাঙাড়ি দোকানি গোলাপ হোসেনের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বেচে দেয়। লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, এক মাসের তদন্তে খুনের রহস্য বের হয়েছে। খুনে জড়িত দু'জন এবং চোরাই অটো কেনায় আরও দু'জনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত কিনা সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে। | হত্যা,শাহ পরান হত্যা,চট্টগ্রাম,কুমিল্লা,লালমাই | এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চারজন। : | national |
https://www.prothomalo.com/world/china/করোনার-উৎপত্তি-নিয়ে-সব-ধারণা-খতিয়ে-দেখবে-ডব্লিউএইচও | করোনার উৎপত্তি নিয়ে সব ধারণা খতিয়ে দেখবে ডব্লিউএইচও | করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে সব ধরনের ধারণাকেই বিবেচনায় রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস গত শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। চীনের উহান শহরের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এমন ধারণার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে ডব্লিউএইচওর একটি দল সেখানে যায়। তদন্ত শেষে দলটি ফেরার পর এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তেদরোসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উহানে তদন্তদলের নেতৃত্ব দেওয়া পিটার বেন এমবারেক। সংবাদ সম্মেলনে তেদরোস বলেন, 'গবেষক দলটি কঠিন পরিস্থিতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। কিছু ধারণা বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তদলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি নিশ্চিত করে বলছি যে সব ধারণাই উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আরও বেশি বিশ্লেষণ ও গবেষণা দরকার।' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, 'আমরা বরাবরই বলে আসছি এ তদন্ত মিশনে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। তবে এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যাতে আমরা ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে জানার কাছাকাছি যেতে পারি। এ মিশন করোনা মহামারি শুরুর দিকের পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি আরও কোন কোন দিকে গবেষণা হতে পারে, তা নির্ধারণে সাহায্য করেছে। যেসব প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি, তা খুঁজতে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।' বিশেষজ্ঞ দল চীনে গিয়ে করোনার উৎস শনাক্ত করতে না পারলেও উহান শহরের গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তির ধারণা নাকচ করে দেয়। গত মঙ্গলবার বেন এমবারেক উহানে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'উহানের গবষেণাগার থেকে করোনার উৎপত্তির ধারণা একেবারেই অসম্ভব। তাই ভবিষ্যতে এ নিয়ে গবেষণার পক্ষে আমরা না।' তেদরোস বলেন, তিনি আশা করছেন, বিশেষজ্ঞ দলের তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হবে। এরপর বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। করোনা বিপর্যয়ের সূত্রপাত চীনের উহান শহর থেকে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের কর্তৃপক্ষ ২৭ জনের 'ভাইরাল নিউমোনিয়ায়' আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায়। ৭ জানুয়ারি দেশটির কর্মকর্তারা এটাকে নতুন ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভাইরাসটির নাম দেয় ২০১৯-এনকভ (কোভিড-১৯)। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঢল নামে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে ২৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনাভাইরাসের উৎস বাদুড়। এরপর অন্যান্য প্রাণীর মাধ্যমে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। | বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,চীন,করোনাভাইরাস | বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস | international |
https://www.ajkerpatrika.com/10327/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%AC%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81 | মাধবপুরে ভিমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু | হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউরা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে গাছ থেকে ফুল পাড়তে গিয়ে ভিমরুলের কামড়ে এক শিশু মারা গেছে। শিশুটির নাম রিয়া সরকার (৫)। গতকাল রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত আরও দুই শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে।স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে রিয়াসহ চার শিশু ওই গ্রামের সুভাগ্য চক্রবর্তীর পুকুরপাড়ের একটি কদমগাছ থেকে ফুল আনতে যায়। সেখানে ঝোপে থাকা ভিমরুলের বাসার কাছে অসাবধানতায় ধাক্কা লাগলে ভিমরুল তাদের আক্রমণ করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।গ্রামের স্কুলশিক্ষক নির্মল ইন্দু সরকার বলেন, ভিমরুলের কামড়ে তারা গুরুতর আহত হলে তাদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গতকাল রোববার অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার রিয়ার মৃত্যু হয়।মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএচও) এ এইচ এম ইশতিয়াক মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মুমূর্ষু অবস্থায় রিয়াকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ সময় অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। | হবিগঞ্জ,সিলেট বিভাগ,শিশু,মাধবপুর,ভীমরুল | মাধবপুরে ভিমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু | national |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2022/03/13/749429 | বৈশাখীর 'সকালের গানে' গাইবেন কণ্ঠশিল্পী চম্পা বনিক | বৈশাখীর সকালের গানে গাইবেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চম্পা বনিক। লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে। অনুষ্ঠানটির প্যানেল প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রবিউল হাসান সুজন ও মামুন আব্দুল্লাহ। চম্পা বনিক মূলত আধুনিক গানের শিল্পী। তবে সব ধরনের গানেই তিনি অভ্যস্ত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ | বৈশাখী, কণ্ঠশিল্পী | চম্পা বনিক। | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/190437/%E2%80%98%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E2%80%99 | 'আগুন আমার সব কেড়ে নিল, পথে বসে গেলাম' | পটুয়াখালীর গলাচিপায় আগুনে পুড়ে আসমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর ভাড়া ঘর পুড়ে হয়ে গেছে। গত সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত আসমা বেগম ওহাব হাওলাদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওহাব হাওলাদার গলাচিপা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলীবাগ এলাকার বাসিন্দা।স্থানীয়রা বলেন, রান্নাঘর থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এলাকাবাসী আসমা বেগমকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এ বিষয়ে আসমা বেগম বলেন, 'আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে আমি দুই কন্যাসন্তান নিয়ে এই ঘরে ভাড়া থাকতাম। আমার দুই মেয়ের বিয়ের পর মেয়ের জামাইদের বিভিন্ন মালামাল এ ঘরে ছিল। গতকাল রাতে আমি দোতলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। গভীর রাতে হঠাৎ আগুনের তাপে ঘুম ভেঙে যায়। পরে আমি দোতলার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে গেলে আগুনের তাপে ওপর থেকে নিচে পড়ে যাই। এতে আমার কোমর ও পায়ের গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছি।'আসমা বেগম আরও বলেন, 'আমার ঘরের ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সর্বনাশা আগুন আমার সব কেড়ে নিল। আমি এখন পথে বসে গেলাম। 'গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।গলাচিপা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আঁখি হাওলাদার ও পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে অফিস সূত্রে জানা গেছে। | আগুন,বরিশাল বিভাগ,উদ্ধার,গলাচিপা,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,পটুয়াখালী বরগুনা পিরোজপুর | 'আগুন আমার সব কেড়ে নিল, পথে বসে গেলাম' | national |
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2021/08/22/682944 | মার্কিন বিমানে আফগান নারীর সন্তান প্রসব
| কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহারের একটি মার্কিন ফ্লাইট জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পর বিমানেই এক আফগান নারী সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আজ রবিবার টুইটারে এক পোস্টে এ কথা জানায় ইউএস এয়ার মবিলিটি কমান্ড। এতে বলা হয়, 'ওই মা তার পরিবারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য থেকে জার্মানির রামস্টেইন এয়ারবেসে উঠেছিলেন। তখন তিনি বিমানেই সন্তান প্রসব করেন। ওই মা জটিলতার সম্মুখীন হলে, বিমানের কমান্ডার দ্রুত বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন, যা মায়ের জীবনকে স্থিতিশীল করতে এবং বাঁচাতে সাহায্য করে।' ইউএস এয়ার মবিলিটি কমান্ড আরও জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের একটি অস্থায়ী ঘাঁটি হয়ে জার্মানির রামস্টাইন বিমান ঘাঁটিতে সৈন্যদের পৌঁছে দিচ্ছিল সি-সেভেনটিন পরিবহন বিমানটি। তালেবানের দখলে যাওয়া আফগানিস্তান থেকে পালানোর জন্য তাদের সঙ্গী হয়েছিলেন ওই অন্তঃসত্ত্বা আফগান নারী। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | null | মার্কিন বিমানে আফগান নারীর সন্তান প্রসব | international |
https://www.prothomalo.com/chakri/employment/এসেনশিয়াল-ড্রাগস-কোম্পানি-লিমিটেডে-চাকরির-সুযোগ | এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে চাকরির সুযোগ | এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ৩ পদে মোট ১৮ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন আপনিও। আগ্রহী প্রার্থীদের ডাকে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীকে ২৪ জুনের মধ্যে ডাকে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। ১. পদের নাম ডেপুটি ম্যানেজার। পদের সংখ্যা ১টি। ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল) বিভাগ। প্রার্থীকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এমবিএ করা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই কম্পিউটার চালানো জানতে হবে। ২. পদের নাম ডেপুটি ম্যানেজার। পদসংখ্যা ১। ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল) বিভাগ। প্রার্থীকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এমবিএ করা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই কম্পিউটার চালানো জানতে হবে। ৩. পদের নাম ডেপুটি ম্যানেজার। পদসংখ্যা ১। ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) বিভাগ। প্রার্থীকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এমবিএ করা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই কম্পিউটার চালানো জানতে হবে। সব পদে আবেদনের জন্য বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৩৮ বছর। জিএম, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড এইচআরএম, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, ৩৯৫-৩৯৭, তেজগাঁও শি/এ, ঢাকা-১২০৮। | চাকরিবাকরি,চাকরির খবর,চাকরির পরামর্শ | এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে চাকরির সুযোগ | education-career |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/03/17/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%86/ | ঢাকায় পৌঁছেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট | বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও গভীর করতে ৩ দিনের সফরে দিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। | null | ঢাকায় পৌঁছেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মেদ সোলিহ। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/194327/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0 | ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে মাশুল বাড়াচ্ছে বন্দর | দেশে একদিকে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম অন্যদিকে বন্দরে বাড়ানো হচ্ছে মাশুল। মাশুল বাড়ানোসংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গত ২৯ এপ্রিল নতুন প্রস্তাবিত মাশুল চূড়ান্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দ্রব্যমূল্য আরও এক ধাপ বৃদ্ধি পাবে। যার শিকার হবে সাধারণ মানুষ।তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন ব্যবসায়ী ও অংশীজনেরা। চট্টগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ফ্রেইড ফরোয়ার্ডাস অ্যাসোসিয়েশনসহ অনেক সংস্থা লিখিতভাবে চট্টগ্রাম বন্দরকে ট্যারিফ না বাড়ানোর অনুরোধ করেছে।চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, 'বন্দরের কাজ সার্ভিস দেওয়া, মাশুল বাড়িয়ে ব্যবসা করা নয়। বিশ্বের বিভিন্ন বন্দর মডার্ন ইকুইপমেন্ট সংযোজন করছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও যাতে এসব ইকুইপমেন্ট সংযোজন করা হয়, আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সেই প্রস্তাব দিয়েছি।'আমদানি খাতে জাহাজভাড়া কয়েক গুণ বৃদ্ধির পর দেশের বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোতে (আইসিডি অফডক) মাশুল এবং লাইটার জাহাজ ও পণ্য পরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। সেই ভাড়া বৃদ্ধির ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের নেতৃত্বে বন্দর ভবনে ট্যারিফ আধুনিকায়ন ও সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে অংশীজনদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজিএমইএ, শিপিং এজেন্ট, ফ্রেইড ফরোয়ার্ডার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও বন্দরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বন্দরের নিয়োগ করা কনসালট্যান্টরা মাশুল বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন। সভায় অংশীজনেরা বন্দরের প্রস্তাবিত ট্যারিফ না বাড়ানোর দাবি করেন।বাংলাদেশ ফ্রেইড ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ ২৮ এপ্রিল বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে প্রস্তাবিত মাশুল কার্যকর স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন।চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত মাশুল নির্ধারণে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর স্পেনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইডম (আইডিওএম) এবং ঢাকার মেসার্স লোজিক ফোরাম লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল হালনাগাদ, পুনর্নির্ধারণের জন্য কি পার্সোনাল হিসেবে নিয়োজিত থেকে কার্যক্রম সম্পাদন করবে ওই দুই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, 'আমাদের নজরে আসছে। আমরা আপত্তি জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছি। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি, কোন কোন খাতে মাশুল বাড়ানো হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে লিখিতভাবে বন্দরকে জানাব।'সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ আরও জানান, মাশুল পরিশোধ করতে হয় ইউএস ডলারের হিসেবে। ১৯৮৬ সালে যখন মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছিল তখন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ছিল ২২ থেকে ২৬ টাকা। বর্তমানে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৭ টাকা। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে টাকার হিসাবে এমনিতেই ৭০ গুণ বেশি মাশুল পরিশোধ করতে হচ্ছে। জাহাজভাড়া কয়েক গুণ বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকেরা দিশেহারা। সেখানে মাশুল বাড়লে তাঁরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।' তাঁরা সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবা না দিয়ে মাশুল আদায়ের খাতগুলোকে ট্যারিফ থেকে বাদ দিতে লিখিতভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১১ মে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে দেওয়া পত্রে জানা যায়, 'আমাদের কোনো মতামত ছাড়া বন্দরে মাশুল বাড়ানো হলে বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যাহত হবে।'পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, আমদানিকারকেরা জাহাজভাড়া কয়েক গুণ বৃদ্ধির পর দেশের বেসরকারি আইসিডি মাশুল বৃদ্ধি, লাইটার জাহাজ ও পণ্য পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এ সময় বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলে পোশাকশিল্প চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর খরচসমূহ বায়াররা কেটে নেবে।চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, 'চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ না বাড়ানোর জন্য আমরা চট্টগ্রাম বন্দরকে একটি চিঠি দিয়াছি।'বন্দরের ট্যারিফ আধুনিকায়ন ও সময়োপযোগী করার জন্য নিয়োগকৃত পরামর্শক দলের সদস্য ও বন্দরের সাবেক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, 'আমাদের পরামর্শক দলের কাজ শেষ করে আমরা রিপোর্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বই আকারে জমা দিয়েছি।'বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে মাশুল আদায়ের জন্য ৬০টি আইটেম রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি আইটেমের ডলারে মাশুল আদায় হয়। ৩৫টি আইটেমের বাংলাদেশি টাকায় মাশুল আদায় হয়।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বন্দরের সর্বশেষ ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। এর পরে আর হালনাগাদ করা হয়নি। বর্তমানে বন্দরের ট্যারিফ হালনাগাদ করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। তারা কাজ করছে এবং প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে। | চট্টগ্রাম বন্দর,বাণিজ্য,দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি,ছাপা সংস্করণ,আজকের বাণিজ্য | ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে মাশুল বাড়াচ্ছে বন্দর | national |
https://www.ajkerpatrika.com/107505/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A8%E0%A7%A6-%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87 | গ্রেপ্তার ২০ জন কারাগারে | ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় মামলার পরে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাঁদের কারাগারে পাঠায়।আসামিরা আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মোমিন মন্ডল এবং বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মিজানুর রহমানের সমর্থক।এর আগে মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালীন এবং সংঘর্ষ পরবর্তী সময় কবুরহাট এবং খাজানগর থেকে আটক তাঁদের আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ওই মামলা করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপঙ্কর রায় বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার।এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর মা সেফালি খাতুন বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি মামলা করেন।এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো ওই ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকা ঘুরে দেখা যায় এখানো মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কবুরহাট দোস্তপাড়া এলাকার বিভিন্ন জায়গায় হামলার সময় ভাঙচুর করা মোটরসাইকেলগুলো পড়ে আছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার পুলিশ তার সবকিছুই করবে। এখানে কারও প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ নেই।'ওসি বলেন, 'বটতৈলের পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।'প্রসঙ্গত, পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের গত মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা দোস্তপাড়া লাইব্রেরি মোড়ে পৌঁছালে নৌকা সমর্থিত প্রার্থী মোমিন মন্ডলের সমর্থকেরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মিন্টু ফকিরকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করেন হামলাকারীরা। হামলায় মিন্টু ফকিরসহ তাঁর ছয় সমর্থক গুরুতর জখম হন।এই খবর মিন্টু ফকিরের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাঁর কয়েক হাজার সমর্থক খাজানগরে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় ওই সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস ছোড়া ও কয়েক শ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। | গ্রেপ্তার,খুলনা বিভাগ,ইউপি,ইউপি নির্বাচন,ছাপা সংস্করণ,যশোর সংস্করণ,যশোর ৭ | বটতৈল ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। গত মঙ্গলবার । | national |
https://www.ajkerpatrika.com/95501/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE | ছাগলনাইয়ায় বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা | ছাগলনাইয়ায় বিজয় দিবস উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে এ সভা হয়।এতে রচনা প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক লেখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এতে সভাপতিত্ব করেন ছাগলনাইয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোমায়রা ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাগলনাইয়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এম মোস্তফা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান বিবি জোলেখা শিল্পী, ওসি মো. শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ। | ফেনী,চট্টগ্রাম বিভাগ,ছাগলনাইয়া,ছাপা সংস্করণ,কুমিল্লা সংস্করণ,নোয়াখালী ফেনী লক্ষ্মীপুর | ছাগলনাইয়ায় বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা | national |
https://www.ajkerpatrika.com/151072/%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81 | আশা-ভরসার একমাত্র জায়গাটাই ছিলেন বঙ্গবন্ধু | ১ মার্চ ১৯৭১। হোটেল পূর্বাণীতে চলছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি সদস্যদের বৈঠক। ছাত্র-জনতা মিছিলে শামিল হয়ে হোটেল পূর্বাণীর সামনে জড়ো হলে সভা শেষে বঙ্গবন্ধু বাইরে এসে কিছু নির্দেশনা দিলেন। তিনি আরও বললেন, ৭ মার্চ জনসভাতেই পরবর্তী পরিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। আমরা চাইছিলাম বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন।৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কী ঘোষণা দেবেন তা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম আমরা। দুপুরের পর রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) চলে এলাম। বঙ্গবন্ধুর আসতে একটু বিলম্ব হচ্ছিল। আমরা বেশ উত্তেজিত ছিলাম, পাকিস্তানিরা তাঁকে আটক করল কি না, তা নিয়েও চিন্তিত ছিলাম। কারণ তখন অবস্থাটাই এমন ছিল, যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। আর আমাদের একমাত্র আশা-ভরসার জায়গাটাই ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ মাঠে উপস্থিত সবার বুকে যেন একটাই শব্দ অনুরণিত হচ্ছিল-স্বাধীনতা। ভাষণ শেষ হলে মানুষ যেন একটা দিকনির্দেশনা পায়। ভাষণের সময় আমি ঢাকা ক্লাবের দিকটায় ছিলাম। ওখান থেকেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনি। বঙ্গবন্ধু এমনভাবে ভাষণটা দিলেন যে পাকিস্তানিরা আক্রমণের সুযোগটা পেল না, আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে আক্রমণের সুযোগ দিলেন না বঙ্গবন্ধু। অন্যদিকে স্বাধীনতা ঘোষণা না করলে হয়তো জনগণ বিভ্রান্ত হতো। এই অবস্থায় এসে তিনি সমগ্র পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ভাষণ দিলেন। ভাষণে কোনো একটা লাইনে পাকিস্তানি সেনাদের উনি বলেছেন, 'তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো।' আবার আমাদের উদ্দেশেও বলেছেন, 'আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।' এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে অত্যাচার করলে প্রতিরোধ করা যাবে। তিনি এর আগে নির্বাচন করে জয়যুক্ত হয়েছেন। নির্বাচন যখন হয়েছিল তখন জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। মাওলানা ভাসানী বলেছেন, 'লাশের ওপর দিয়ে নির্বাচনে যাব না।' বঙ্গবন্ধু বলেছেন, 'আমি নির্বাচনে যাব।' সেটা যে কতটা সঠিক ছিল, তা ৭ মার্চে বুঝতে পারলাম। কারণ একজন নির্বাচিত প্রতিনিধিই এভাবে বলতে পারেন। এভাবে সুকৌশলে বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কাছে নিয়ে গেছেন। আমরাও বুঝে নিলাম স্বাধীনতার ভাষণ দিলেন। এই যে কৌশলী বক্তৃতা, সেটাই এখন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বক্তৃতার স্বীকৃতি পেয়েছে।আমরা তখন অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে সক্রিয়। ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করি। আমি, ওয়াহিদুল হক, আতিকুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা-আমরা চারজন গেলাম। তোফায়েল আহমেদ ভেতরে নিয়ে গেলেন। বঙ্গবন্ধু ড্রয়িং রুমে বসে ছিলেন। তিনি আমাদের বললেন, 'তোদের কথামতো যদি টেলিভিশন-বেতার চলে তাহলে চলবে, নাহয় তোরা অসহযোগ আন্দোলন কর।' এই কথা বলে উনি তৎকালীন তথ্যসচিব জহুরুল হক সাহেবকে ফোন দিলেন। আমাদের সামনেই বঙ্গবন্ধু বললেন, 'আমার ছেলেদের পাঠাচ্ছি, আপনি ওদের কথামতো যদি টেলিভিশন-বেতার চালাতে রাজি হন তাহলে বেতার-টিভি অসহযোগ আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত হবে না। নাহয় অসহযোগ আন্দোলনের অন্তর্ভুক্ত হবে।'আমরা জহুরুল হক সাহেবের কাছে গেলাম। উনি আমাদের দুটি শর্ত দিলেন। পাকিস্তানের অখণ্ডতার ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না। উনি বললেন, শর্ত মানলে আপনাদের টেলিভিশনের দায়িত্ব দিতে পারি। ওনার টেলিফোন থেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কথা বললাম। বঙ্গবন্ধু বললেন, 'শর্ত মেনে তোরা দখল কর।'আমরা দুটি কমিটি করলাম। একটা আশরাফুজ্জামানকে প্রধান করে রেডিওর জন্য, আরেকটি মুস্তাফা মনোয়ারকে প্রধান করে টেলিভিশনের জন্য। এই কমিটি ৮ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে টেলিভিশনে তাঁর ভাষণ প্রচার করল। ৭ মার্চের ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার হওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তানিরা তা হতে দেয়নি। ৭ মার্চের ভাষণটি সারা রাত প্রিন্ট করে ৮ মার্চ অডিও আকারে আমরা বাজারে ছেড়েছিলাম। ২৫ মার্চ পর্যন্ত আমরা অনুষ্ঠান করেছিলাম। এরপর তো মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান | বিনোদন,বঙ্গবন্ধু,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন | সৈয়দ হাসান ইমাম | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/04/13/%e0%a6%86%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%8f%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a7%8d/ | আপিলে এক জেএমবির জামিন স্থগিত | নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তৌফিকুল ইসলাম ওরফে তৌফিক ডাক্তারের (৪৫) জামিন স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। অন্যদিকে আসামির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বলেন, জেএমবি সদস্য তৌফিকুল ইসলাম ওরফে তৌফিক ডাক্তার হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে গেছেন। আমরা তার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আপিল বিভাগ তৌফিকের জামিন স্থগিত করে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। | null | হাইকোর্ট। | national |
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/07/20/672360 | কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
| রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ করোনা মহামারির এ কঠিন সময়ে কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। 'আজহা' অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। রাষ্ট্রপতি বলেন, 'কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।' আবদুল হামিদ বলেন, এ বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে যখন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে চরমভাবে বিপর্যস্থ। করোনার কারণে দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। কঠিন এ সময়ে তিনি দেশের আপামর জনগণের প্রতি কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। একই সাথে তিনি দেশবাসীর প্রতি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে ঈদুল আজহা উদযাপনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, 'ত্যাগের শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ। মহান আল্লাহ মহামারি করোনার হাত থেকে সবাইকে করুন, আমিন।' রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও উপার্জন থাকা আবশ্যক। সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করে এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে তিনি আমি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ।-বাসস বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | আবদুল হামিদ | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/16/%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%9a-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%95/ | ডাচ-বাংলা ব্যাংকের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতে রিমান্ডে ৩ জন | অভিনব কৌশলে ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার চারজনের মধ্যে তিনজনকে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। আসামিরা হলেন আসাদুজ্জামান আসাদ, আল-আমিন বাবু ও মেহেদী হাসান ওরফে মামুন। এছাড়া আরেক আসামি সায়মা আক্তারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। বুধবার (১৬ জুন) গ্রেপ্তার এ ৪ জন আসামিকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ৭ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আসাদুল ইসলাম। শুনানি শেষে হাকিম মামুনুর রশিদের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার এন্ড সিরিয়াস ক্রাইম ইউনিট। তবে এ চক্রের মূলহোতা ব্যাংকটির আইটি বিভাগের কর্মকর্তা রনি পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। | null | ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা আত্মসাতের কারণে ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীসহ চার জনকে আটক। | national |
https://www.bd-pratidin.com/mixter/2022/02/02/736934 | মাছের শরীর থেকে উৎপাদিত হাইভোল্টেজের বিদ্যুতে ছটফট করে মারা গেল কুমির! (ভিডিও) | কখনও শুনেছেন মাছ শিকার করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কুমিরের! তবে রুই, কাতলা বা আর পাঁচটা সাধারণ মাছ নয়, ঈল শিকার করতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছে এক কুমিরের। এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যে ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে ভিডিওটি কোথাকার তা অবশ্য জানা যায়নি। শিকারির হাত থেকে বাঁচতে শরীরে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে ঈল। এক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে ঈল ঈল মূলত নিজে শিকার করতে শরীর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। তবে শিকারির হাত থেকে বাঁচতেও এটি একই পদ্ধতি ব্যবহার করে। নিজের শরীর বাঁকা করে মাথা ও লেজ কাছাকাছি নিয়ে আসে। ঈলের মাথা ধনাত্মক ও লেজ ঋণাত্মক প্রান্তের কাজ করে। তাই অধিক পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার উদ্দেশ্যে ঈল এমনটি করে থাকে। এরপর ক্রমাগত ইলেকট্রিক শক দিতে থাকে। এতে শিকার/শিকারির পেশী দ্রুত অবসন্ন হয়ে আসে। একটি পূর্ণবয়স্ক বৈদ্যুতিক ঈল মাত্র ২ মিলিসেকেন্ডে ৬০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে, যা আমাদের বাসা-বাড়িতে সংযুক্ত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ভোল্টের চেয়েও কয়েক গুণ বেশি। সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতেও এরা কয়েক'শ থেকে কয়েক হাজার পেশী কোষ ব্যবহার করে। জানা যায়, ৬০০-৮৬০ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে ৬ ফুট লম্বা ঈল ৬ হাজার পেশী কোষকে ব্যবহার করে। সূত্র: সিনেট, সায়েন্সফোকাস, সায়েন্সনিউজ ফর স্টুডেন্টস, সায়েন্স এবিসি, টাইমস নাউ নিউজ, ইউডব্লিউএ বিডি প্রতিদিন/কালাম | কুমির, ঈল, বিদ্যুৎ | মাছের শরীর থেকে উৎপাদিত হাইভোল্টেজের বিদ্যুতে ছটফট করে মারা গেল কুমির! | miscellaneous |
https://www.ajkerpatrika.com/106644/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%88%E0%A6%B0 | ফিল্ম সিটিতে খেজুর রস ও গুড় উৎপাদন | গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি। ১০৫ একর আয়তনের এ সুবিশাল জায়গায় চলচ্চিত্রের শুটিং হয় না বললেই চলে। পড়ে থাকা এ জায়গায় রয়েছে তিন শতাধিক খেজুরগাছ। আর এগুলো থেকে উৎপাদিত হচ্ছে রস। সেই রস থেকে হচ্ছে গুড়।কালিয়াকৈরের আন্ধারমানিক এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটিতে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক থেকে শুরু করে সিটির ভেতরে লেকের দুই পাড়ে সারি সারি ছোট-বড় খেজুরগাছ। সব মিলিয়ে এ সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে।শীতের শুরু থেকেই এসব খেজুর গাছে চারজন গাছি ও তিনজন সহকারী অক্লান্ত পরিশ্রম করে গাছগুলো কেটে রস আহরণের উপযোগী করে তুলেছেন। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রস ও গুড় উৎপাদন।এসব গাছ থেকে প্রতিদিন ৩০০ লিটার রস পাওয়া যায়। প্রতি রস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা লিটার দরে। বিক্রির পর অবশিষ্ট রস থেকে পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা হয় খেজুরের গুড়। প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল আহমেদ বলেন, ফিল্ম সিটিতে প্রতিবছর খেজুরের রস পাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে খেজুরের রস নিয়ে যায়। সাধারণত গাজীপুর জেলায় তেমন কোথাও খেজুর রস পাওয়া যায় না। কিন্তু এখানে ভালো মানের খেজুরের রস পাওয়া যায়।ফিল্ম সিটির এ খেজুর গাছ লিজ নিয়েছেন রিজভী আহমেদ মিল্টন। তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটির গাছ লিজ নিয়ে স্থানীয়ভাবে খেজুরের গুড়ের চাহিদা মেটাচ্ছি। আমি প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করে থাকি। এ জন্য এই জমিটি লিজ নিয়েছি। আমি চাই বাজারে যে ভেজাল বা চিনিমিশ্রিত গুড় পাওয়া যায়, এটা থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষকে ভালো মানের খাঁটি গুড় খাওয়াতে।'কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমরা প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি রিজভী আহমেদ মিল্টনকে। যাতে করে ভেজালমুক্ত গুড় তৈরি করতে পারেন।' | গাজীপুর,ঢাকা বিভাগ,কালিয়াকৈর,ঢাকা,ছাপা সংস্করণ,রাজধানীর চারপাশ | ফিল্ম সিটিতে রস আহরণের জন্য প্রস্তুত করা খেজুরগাছ। | national |
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/সখীপুরে-অবৈধভাবে-মজুত-করা-খাদ্যবান্ধব-কর্মসূচির-২৬-বস্তা-চাল-উদ্ধার | সখীপুরে অবৈধভাবে মজুত করা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার | টাঙ্গাইলের সখীপুরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল অবৈধভাবে সংগ্রহের পর মজুতের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ২৬ বস্তা চাল। উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আজ সোমবার দুপুরে হাতীবান্ধা ইউনিয়নের কাশেম বাজারের একটি মুদিদোকান থেকে এসব চাল উদ্ধার করে। পুলিশ মুদিদোকানি বিল্লাল হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে। ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন হাতীবান্ধা গ্রামের বাসিন্দা। চাল উদ্ধারের ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুল আলম বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সুলতানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে কাশেম বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিল্লাল হোসেনের মুদিদোকান থেকে অবৈধভাবে মজুত রাখা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি চাল আছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিল্লাল এসব চাল বেশি মুনাফার আশায় অবৈধভাবে সংগ্রহ করে মজুত করছিলেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মামলার বাদী আশরাফুল আলম বলেন, চলতি মাস থেকে ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব চাল ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যবসায়ী কোনো ডিলার অথবা উপকারভোগীর কাছে থেকে চালের বস্তা কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। | অনিয়ম,সখীপুর,চাল,ঢাকা বিভাগ,টাঙ্গাইল,খাদ্যদ্রব্য | টাঙ্গাইল জেলার মানচিত্র | national |
https://www.prothomalo.com/politics/হত্যা-গুম-করে-সরকার-ক্ষমতায়-থাকতে-পারে-না-এরশাদ | হত্যা-গুম করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না: এরশাদ | সরকারের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, 'কত মায়ের বুক খালি হয়েছে তার কোনো ঠিকানা নাই। হত্যা করে, গুম করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না। সরকারে থাকতে হলে মানুষকে ভালোবাসতে হয়।' আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ঈদগাহ মাঠে জেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত তৃণমূল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশে চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চমূল্যে চাল কিনে কৃষকসহ সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। এদিকে সরকারের দৃষ্টি নাই, সরকারের দৃষ্টি একটাই কী করে ক্ষমতায় থাকা যায়। তিনি বলেন, আমরা মানুষকে ভালোবেসেছি। থানাকে উপজেলা ও মহকুমাকে জেলায় পরিণত করেছি। দেশের অনেক উন্নয়ন করেছি। আমরা ২৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। ক্ষমতায় থাকাবস্থায় মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাই ২৭ বছর পরও মানুষ আমাদের মনে রেখেছে। নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে এরশাদ বলেন, এ দেশের মানুষ নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করে না। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করে প্রমাণ করবেন আপনারা নিরপেক্ষ। 'আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব। মানুষ আমাদের বিশ্বাস করে। ভবিষ্যতে আমরাই ক্ষমতায় যাব। আমরা সবাই এখানে এসেছি। এটাই প্রমাণ করে জাপার মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, জাপার সব নেতা-কর্মী এক'- বলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। আগামী ১৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশনকে প্রমাণ করতে তারা নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাসিরনগরের সংসদ উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হবে। রংপুরে যেভাবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে দলীয় নেতা-কর্মীরা জয়ী করেছেন, নাসিরনগরেও সেভাবেই জয়ী করবেন। এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে এরশাদসহ অন্য নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরের কুট্টাপাড় খেলার মাঠে অবতরণ করেন। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের বাইরে কালীকচ্ছ ঈদগাহ মাঠের জাপার সমাবেশে যোগ দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে এবং এরশাদের যুব সংহতিবিষয়ক উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য করেন জাপার মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। | রাজনীতি,এরশাদ,জাতীয় পার্টি,বাংলাদেশ | জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি | politics |
https://samakal.com/sports/article/210768878/অর্ধশতক-হলো-না-সাইফের | জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রানের টার্গেট দিল টাইগাররা | সিরিজের একমাত্র টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। দারুণ ছন্দে ব্যাট করছিলেন ওপেনার সাইফ। কিন্তু ইনিংসের ৩১তম ওভারে এনগারাভার বলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন সাইফ। কিন্তু ৩১তম ওভারে জিম্বাবুইয়ান পেসার এনগারাভার বলে মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজফরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪৩ রান। হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের একমাত্র টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ইসলাম এবং নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির উপর ভর করে ১ উইকেটে ২৮৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করলে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৪৭৬ রানে। ফলে জিততে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ৪৭৭ রান। জয়ের উদ্দেশ্যে এখন ব্যাট করছে টেলররা। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি এবং মুমিনুল, লিটন এবং তাসকিনদের হাফসেঞ্চুরির উপর ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান সংগ্রহ করে সফররত বাংলাদেশ দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে মাত্র ২৭৬ রানেই অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের ইনিংস শেষে বাংলাদেশ লিড পায় ১৯২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসান নেন চারটি উইকেট। আর একটি উইকেট তাসকিনের। | বাংলাদেশ,জিম্বাবুয়ে,হারারে | শান্তর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় লিড | sports |
https://www.ajkerpatrika.com/203690/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0 | পুতিনসহ রাশিয়ার মন্ত্রী-কর্মকর্তার ওপর ইউক্রেনের নিষেধাজ্ঞা | রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ দেশটির সব মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক প্রেসিডেনশিয়াল আদেশ জারি করেছেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন বিষয়টি জানিয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।জেলেনস্কির জারি করা প্রেসিডেনশিয়াল আদেশে পুতিন ছাড়াও যেসব ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাঁরা হলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুতিন, দেশটির সব উপপ্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের নিকোলাই পাত্রুশেভ।নতুন আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আরোপকৃত ব্যক্তিদের ইউক্রেনে থেকে যাওয়া সম্পদ জব্দ করা, ইউক্রেনে তাদের প্রবেশাধিকার বাতিল করাসহ সব ধরনের কূটনৈতিক সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন এখনো দনবাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শহরের দখল ধরে রেখেছে। তিনি বলেছেন, 'সেভেরোদনেৎস্ক, লিসিশানস্কসহ দনবাসের বেশ কিছু শহরকে দখলদারেরা টার্গেটে রেখেছে, সেগুলো আমরা এখনো ধরে রেখেছি।'তিনি আরও বলেন, 'জাপোরিঝিয়ায়ও আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছি।...আমরা মাইকোলাইভের দিকেও অগ্রসর হওয়া চেষ্টা করছি।' | ইউরোপ,রাশিয়া,ভ্লাদিমির পুতিন,নিষেধাজ্ঞা,ইউক্রেন,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট,ভলোদিমির জেলেনস্কি | পুতিনসহ রাশিয়ার মন্ত্রী-আমলাদের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউক্রেন। | international |
https://www.ajkerpatrika.com/65990/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE | পাত্রী দেখতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হত্যা | পাত্রী দেখতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কোমল পানীয়র সঙ্গে ইঁদুর মারার ওষুধ খাইয়ে মো. ইউনুছ (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার তুলাগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যায় জড়িত সোলায়মান হোসেনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক সাকিব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।র্যাব জানায়, গত সোমবার সকালে দেবীদ্বার জাফরাবাদ তুলাগাঁও থেকে মনিপুর যাওয়ার রাস্তার পাশে খালের পানিতে একজন পুরুষের লাশ দেবীদ্বার থানা-পুলিশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তুলাগাঁও পাহাড়ি বাড়ির মৃত হারেছ মিয়ার ছেলে মো. ইউনুছ (৩৯) এর বলে শনাক্ত করে। পরে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে দেবীদ্বার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।পরে অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করতে র্যাব কাজ শুরে করে। নিহত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ইউনুসের সঙ্গে একই এলাকার কৃষক সোলায়মান হোসেনের সঙ্গে সখ্য ছিল। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার র্যাব সোলায়মানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁকে বাসায় পায়নি। পরে তাঁর মোবাইল বন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে ২৩ অক্টোবর রাতে তুলাগাঁও এলাকায় সোলায়মান হোসেন এর অবস্থান শনাক্ত করে তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কথাবার্তা সন্দেহ জনক মনে হলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লায় ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।র্যাবের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে সোলায়মান হোসেন জানায়, নিহত ইউনুস সোলায়মান হোসেনের পরিবারের নারী সদস্যদের উত্ত্যক্ত করত এবং নানা ধরনের কু-প্রস্তাব দিত। বিষয়টি পরিবার সোলায়মানকে জানালে তার প্রচণ্ড রাগ ও আক্রোশ তৈরি হয়। পরবর্তীতে সে ভিকটিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাঁর সঙ্গে সখ্য তৈরি করে। সম্প্রতি নিহত ইউনুস আরেকটি বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করে সোলায়মানের কাছে। সোলায়মান পাত্রী দেখার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকে। অবশেষে গত রোববার দুপুরে সোলায়মান হোসেন স্থানীয় দোকান থেকে কোমল পানীয় ও ইঁদুর মারা বিষ কিনে রাখে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাত্রী দেখতে যাওয়ার কথা বলে তুলাগাঁও থেকে জাফরবাদ যাওয়ার পথে রাস্তায় নির্জন স্থানে গিয়ে ইউনুসকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ইঁদুর মারার বিষ মিশিয়ে খাইয়ে রাস্তার পাশের খালের পানিতে ফেলে দেয়।কোম্পানি অধিনায়ক সাকিব হোসেন বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেই উক্ত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। | কুমিল্লা,অপরাধ,হত্যা,চট্টগ্রাম বিভাগ | ইঁদুর মারার ওষুধ খাইয়ে মো. ইউনুছ (৩৯) নামে হত্যার অভিযোগে সোলায়মান হোসেনকে আটক করেছে র্যাব। | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2019/08/04/%e0%a6%88%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%8f%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-3/ | ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ | পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে ব্যাংকের এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। রোববার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে এটিএম, পিওএস, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে, এমএফএসের মাধ্যমে গ্রহকরা যাতে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের পরিচালিত সিস্টেমসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্দেশনায় এটিএম সেবা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিক এটিএম সেবা চালু নিশ্চিত করা; বুথে কোনো ধরনের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে দ্রুততম সময়ে সমাধান করতে হবে; এ ছাড়া পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহ নিশ্চিতের পাশাপাশি বুথে সার্বক্ষণিক পাহারাদারদের সতর্ক অবস্থানসহ অন্যান্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পয়েন্ট অব সেলের (পিওএস) ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক পিওএস সেবা নিশ্চিত করা এবং জাল-জালিয়াতি রোধে মার্চেন্ট এবং গ্রাহককে সচেতন করতে হবে। ই-পেমেন্ট গেটওয়ের ক্ষেত্রে কার্ডভিক্তিক 'কার্ড নট প্রেজেন্ট' লেনদেনের ক্ষেত্রে ( ) ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী সব ব্যাংক এবং তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো অঙ্কের লেনদেনের তথ্য এসএমএস এলার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহককে অবহিত করতে হবে; ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের পরিশোধ সেবার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতকর্তা অবলম্বনে প্রচার প্রচারণা চালানো; গ্রাহককে প্রতারিত না করা এবং সার্বক্ষণিক হেল্প লাইন সহায়তা প্রদান করা এবং ইতোপূর্বে জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। | null | বাংলাদেশ ব্যাংক | economy |
https://www.ajkerpatrika.com/5232/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A7%AC-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95-%E0%A7%AD | ভারতে ৬ কেজি ইউরেনিয়ামসহ আটক ৭ | বোকারো: ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ছয় কেজি ইউরেনিয়ামসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের বোকারো নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশের এক বিশেষ দল তাদের আট করে। বোকারোর পুলিশ সুপার (এসপি) চন্দন কুমার ঝা বলেন, আমরা কিছু হলুদ পদার্থ জব্দ করেছি। এটি পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে। ইউরেনিয়াম অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ। এটি পারমাণবিক বোমা তৈরি এবং এ ধরনের অবকাঠামোতে ব্যবহৃত হয়।পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা অবৈধ ইউরেনিয়াম ব্যবসায় জড়িত সর্বভারতীয় চক্রের অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁরা গ্রাহকের সন্ধান করছিলেন। তাঁরা প্রতি কেজি ইউরেনিয়ামের দাম নির্ধারণ করেছিলেন ৫০ লাখ রুপি।সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী এক কেজি ইউরেনিয়াম প্রায় ১৮ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়। আর ঝাড়খণ্ডের শিল্প এলাকা বোকারোতে এই প্রথম ইউরেনিয়াম জব্দ করা হলো। ভারতে লাইসেন্স ছাড়া ইউরেনিয়াম রাখা বেআইনি। ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন লঙ্ঘন করলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।বোকারোর পুলিশ সুপার বলেন, কিছু অপরাধী ইউরেনিয়াম বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়েছিল পুলিশ। চাস ডিএসপি মুকেশ কুমার এবং সিটি ডিএসপি কুলদীপ কুমারের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি দল এই অভিযানে অংশ নেয়। তবে কীভাবে তাঁরা তেজস্ক্রিয় ধাতবটি হাতে পেয়েছিলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। জিজ্ঞাসাবাদকালে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ, গিরিদি এবং আরও কয়েকটি জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে সাতটি সেলফোন এবং একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ভারতের যে ক'টি রাজ্যে ইউরেনিয়ামের খনি রয়েছে ঝাড়খণ্ড তার মধ্যে অন্যতম। বোকারো শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে যাদুগুড়ায় ইউরেনিয়াম করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের (ইউসিআইএল) একটি ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও রয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, আটককৃতদের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের একটি চক্রের কোনো যোগসূত্র আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) গত ৫ মে দুজনকে আটকের পর ইউরেনিয়াম কারবারি একটি চক্রের সন্ধান পায়। জগার জয়েশ পান্ড্যে (২৭) এবং আবু তাহির আফজাল চৌধুরী (৩১) নামে দুজনের কাছ থেকে ওই সময় ২১ কোটি ৩০ লাখ রুপি মূল্যমানের ৭ দশমিক ১ কেজি প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম জব্দ করা হয়। | ভারত,আটক,পুলিশ,ঝাড়খণ্ড,ইউরেনিয়াম | ভারতে ৬ কেজি ইউরেনিয়ামসহ আটক ৭ | international |
https://www.ajkerpatrika.com/122862/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A7%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81 | নান্দাইলে বালুবোঝাই ট্রাক্টর উল্টে ২ জনের মৃত্যু | ময়মনসিংহের নান্দাইলে বালুবোঝাই ট্রাক্টর উল্টে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-আতকাপাড়া গ্রামের তাহের উদ্দিনের ছেলে মোস্তফা (৩২) এবং আব্দুস ছাত্তারের ছেলে রাফাত (২২)।পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ট্রাক্টরে বালুবোঝাই করে আতকাপাড়া নেওয়ার পথে ফরিদ মিয়ার ফিসারীর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উল্টে পানিতে পড়ে যায়। এতে বালুবোঝাই করা ট্রাক্টরের নিচে পানিতে ডুবে যায় মোস্তফা ও রাফাত। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।স্থানীয় মো. আরজু মিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, চামটা থেকে আতকাপাড়া গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটি কাচা হওয়াতে অনেক গর্ত হয়ে আছে। রাতের বেলায় বালুবোঝাই করে নেওয়ার সময় উল্টে দুজন মারা গেছে। তাঁরা দুজন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।নান্দাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, 'ঘটনার পর পরই খবর পেয়ে পানির নিচ থেকে দুজনকে উদ্ধার করি। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।'নান্দাইল হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদ খান নিহতর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | ময়মনসিংহ জেলা,মৃত্যু,সড়ক দুর্ঘটনা,ময়মনসিংহ বিভাগ,নান্দাইল | নান্দাইলে বালুবোঝাই ট্রাক্টর উল্টে ২ জনের মৃত্যু | national |
https://www.bd-pratidin.com/sports/2021/05/31/654597 | ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় দিয়ে শুরুর পরও ওসাকাকে জরিমানা | খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ায় ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে নাওমি ওসাকাকে। আজ সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে নাওমির অবস্থান এখন দুইয়ে। গতকাল তিনি ৬৩তম বাছাই রুমানিয়ার প্যাট্রিসিয়া মারিয়া টিগকে ৬-৪, ৭-৬ (৭/৪) গেমে পরাজিত করে ফ্রেঞ্চ ওপেনে নিজের শুভ সূচনা করেছেন। তবে খেলা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি তিনি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ায় ওসাকাকে সতর্ক করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ওসাকাকে এ ধরনের টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কারেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিডি প্রতিদিন/ফারজানা | নাওমি ওসাকা | নাওমি ওসাকা | sports |
https://www.dailynayadiganta.com/law-and-justice/648913/পরীমনির-বিরুদ্ধে-মামলা-চলবে | পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা চলবে | বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশকে স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার বিকেলে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালতে এই বিষয়ে শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয়া হয়। ফলে পরীমনির বিরুদ্ধে আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে গত ১ মার্চ পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে ৭ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে, যার শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এ জন্য বাসায় একটি 'মিনিবার' তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত 'মদের পার্টি' করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এই নায়িকা। ১৫ নভেম্বর পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত ১০-এ বদলি করা হয়। বর্তমানে মামলাটির শুনানি চলছে। | পরীমনি,আইন ও বিচার | পরীমনি | national |
https://www.prothomalo.com/politics/শেখ-হাসিনা-যত-দিন-জীবিত-তত-দিন-আ.লীগ-ক্ষমতায় | শেখ হাসিনা যত দিন জীবিত, তত দিন আ.লীগ ক্ষমতায় থাকবে: হানিফ | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দিন জীবিত ও কর্মক্ষম আছেন, তত দিন পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বুধবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে কাজী বশির মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র হানিফ এ মন্তব্য করেন। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, 'সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। জনগণ খালেদা জিয়া ও তাঁর দুর্নীতিবাজ পুত্রের নেতৃত্বে হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখতে চায় না। তাই ২০১৮ সাল নয়, ২০২৪ সালেও নয়। ২০২৯ সালের পরে তারা ক্ষমতায় আসার কথা ভাবতে পারে।' হানিফ আরও বলেন, 'জননেত্রী শেখ হাসিনা যত দিন জীবিত আছেন, যত দিন কর্মক্ষম আছেন, তত দিন পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাই তত দিন বাংলার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকবেন। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে কোনো অপশক্তির ক্ষমতা দখল করার শক্তি নেই।' তিনি বলেন, অশুভ শক্তি বিদেশি মদদ নিয়ে চক্রান্ত করতে পারে। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করেন হানিফ। তিনি বলেন, 'তারেক জিয়ার জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে। জন্মসূত্রে যদি নাগরিকত্ব হয়, তাহলে তিনি পাকিস্তানের নাগরিক।' সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। | রাজনীতি,আওয়ামী লীগ | ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনে বক্তব্য দেন মাহবুব উল আলম হানিফ। মহানগর নাট্যমঞ্চ, ঢাকা, ২৫ এপ্রিল। ছবি: ফোকাস বাংলা | politics |
https://www.prothomalo.com/entertainment/bollywood/তারকা-সন্তানদের-নামের-মানে-কী | তারকা সন্তানদের নামের মানে কী | সাইফ আলী খান আর কারিনা কাপুরের ছোট ছেলে জেহ আলী খানের নাম নিয়ে কম বিতর্ক হলো না! তারকাদের মতো তাঁদের সন্তানদের নিয়েও ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। চলুন, দেখা আসা যাক তারকা সন্তানদের নাম ও নামের অর্থ। | সারা আলী খান,কারিনা কাপুর খান,সাইফ আলী খান | সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুরের ছোট ছেলে জেহ আলী খান। কারিনা তাঁর লেখা বই 'প্রেগন্যান্সি বাইবেল'-এ লিখেছেন, জেহ মানে জাহাঙ্গীর। এর অর্থ বিশ্বজয়ী। | entertainment |
https://www.prothomalo.com/opinion/interview/বাংলাদেশকে-এখনই-টিকার-জন্য-প্রস্তুতি-নিতে-হবে | বাংলাদেশকে এখনই টিকার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে | প্রথম আলো: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, মানুষের শরীরে কোভিড-১৯-এর টিকার (ভ্যাকসিন) ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর অর্থ কী? ফেরদৌসী কাদরী: অনেক সংস্থা ও গবেষণা পরীক্ষাগার কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে টিকা তৈরির জন্য গভীরভাবে কাজ করছে। ১০০টির মতো টিকা তৈরিতে কাজ চলছে। এর মধ্যে ৭টি মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। ছয়টি পরীক্ষার প্রথম ধাপে রয়েছে, যা মূলত টিকার নিরাপদ ও কার্যকারিতার পরীক্ষা। আরেকটি দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, যেখানে বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকদের এসব টিকা ধীরে ও যত্নসহকারে দেওয়া হয়, যাতে কোনো বিরূপ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা যায়। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। প্রথম আলো: এর আগে আপনি বলেছিলেন, চীনের উহান, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা নতুন টিকার ব্যাপারে এগিয়ে আছেন। এখনকার পরিস্থিতি কী। কোন দল কোথায় আছে। ফেরদৌসী কাদরী: প্রথম ধাপে থাকা ৬টি টিকার পরীক্ষার পরিকল্পনার মধ্যে একটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের। এটি মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য এগিয়ে চলেছে। এটি মূলত ডিএনএ টিকা (সিডএইচএডওএক্সওয়ান), যার ভিত্তি অ্যাডেনো ভাইরাস ভ্যাকসিন ভেক্টর ও সার্স-কোভ-২ স্পাইক প্রোটিন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় টিকা প্রস্তুত করবে। এতে ১ হাজার ১১০ জন পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে অর্ধেক পাবেন নতুন ভ্যাকসিন আর অর্ধেক প্রচলিত মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন()। পরীক্ষার প্রথম ধাপে এটি যাওয়ার পর অল্প কিছু স্বেচ্ছাসেবী এতে অংশ নিয়েছেন। চীনের উহান টনজাই হাসপাতালে ১০৮ জন অংশগ্রহণকারীকে ক্যানসিনো বায়োলজিক্স দ্বারা উত্পাদিত অ্যাড ৫-এনসিওভি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটাও অক্সফোর্ডের মতো ডিএনএ ভ্যাকসিন। এর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আরেকটি পরীক্ষা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে। এতে মর্ডানার তৈরি এমআরএনএ ভ্যাকসিন এমআরএনএ ১২৭৩ ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৮-৬৫ বছর বয়সী ৪৫ জন অংশগ্রহণকারী নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। চীনে সিনোভ্যাকের তৈরি আরেকটি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চলছে। প্রথম ধাপে ১৭ এপ্রিল থেকে ১৪৪ জনকে এটি দেওয়ার কথা। এর মধ্যে ১১ জনকে দুবার করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে যাওয়ার জন্য বাকি ২টি ভ্যাকসিন বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। একটি হলো ডিএনএ ভ্যাকসিন, আইএনও-৪৮০০ (-) যা পরের কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় ৪০ জনকে নিয়োগ দেবে। আরেকটি ভ্যাকসিন বিএনটি ১৬২ () এমআরএনএ ভ্যাকসিন। এটি তৈরি করেছে জার্মানির ফিজার ও বায়োএনটেক ( ) । জার্মানিতে ২০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে এ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা হবে। এগুলো ছাড়া বিসিজি টিকা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় কি না, তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে। প্রথম আলো: কাদের ওপর ট্রায়াল হচ্ছে? এই মানুষগুলো কারা? কোন শর্তে তাঁরা ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন? ফেরদৌসী কাদরী: ১৮-৬০ বা তার বেশি বয়সের সুস্থ লোকদের মধ্যে ট্রায়ালগুলো পরিচালিত হচ্ছে। কিছু পরীক্ষায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কোনো ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে এমন কোনো অবস্থায় থাকা কাউকে তালিকাভুক্ত করা হয় না। যাঁরা স্বেচ্ছায় অংশ নিতে চান কেবল তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হয়। তাঁরা বেশির ভাগই জেনে-বুঝে এতে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। তাঁদের কাছ থেকে লিখিত সম্মতি নেওয়া হয়। সম্মতিপত্রে সুবিধা ও ঝুঁকির বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে। প্রথম আলো: ট্রায়ালে অংশ নেওয়া মানুষদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি কি আছে? ফেরদৌসী কাদরী: ভ্যাকসিন পরীক্ষায় তালিকাভুক্তির আগে ব্যাপক অন্তর্ভুক্তি এবং বর্জনীয় মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক। প্রত্যেকে ভ্যাকসিনের ঝুঁকির বিষয়ে অবগত থাকেন। তাঁদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকে। প্রথম আলো: চলমান ট্রায়ালের ফলাফল কবে জানা যাবে? ফেরদৌসী কাদরী: সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার ফলাফল উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে ভ্যাকসিন খুব জরুরি এবং বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলে এর প্রয়োজন। তাই পরীক্ষার সবগুলো ধাপ দ্রুত সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম আলো: টিকা তৈরি ও সাধারণ মানুষের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু বিধিবিধান আছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি কোনো ছাড় দেবে? দিলে কোন ধরনের ছাড়? ফেরদৌসী কাদরী: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উত্পাদন ও সহজলভ্য করতে একটি কমিটি গঠন করেছে এবং সদস্যদেশগুলোর সহায়তায় একটি তহবিল তৈরি করেছে। তারা কাজ করছে। প্রথম আলো: আপনি টিকাবিষয়ক কৌশলগত কমিটিতে আছেন। কমিটিতে আপনার ভূমিকা কী, তা দেশবাসী জানতে চায়। ফেরদৌসী কাদরী: আমি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টসের একজন সদস্য। এরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত পরামর্শ দেয়। আমরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার পরিকল্পনা নিয়ে অনেক আলোচনা করছি। আমার দায়িত্ব হচ্ছে, এটি জানানো যে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মতো বাংলাদেশসহ সব স্বল্প ও মধ্য আয়ের (এলএমআইসি) দেশগুলোর ভ্যাকসিন সমানভাবে প্রয়োজন। একবার পরীক্ষা করা হয়ে গেলে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতায় কোনো বৈষম্য হওয়া উচিত না। আমরা স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলো অনেক পরে ভ্যাকসিন পাব-গল্পটি এবার আগের মতো হওয়া উচিত নয়। সর্বত্র এই বার্তাটি দেওয়ার জন্য আমি কাজ করছি। আমি এ খাতের হালনাগাদ উন্নয়নের খোঁজ রাখছি এবং যত দ্রুত সম্ভব আমাদের সেটিংগুলোতে ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা করছি। প্রথম আলো: টিকা উৎপাদন করার জন্য বড় কোম্পানিগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন বিল গেটস। এই কোম্পানিগুলো কারা? ফেরদৌসী কাদরী: গেটস ফাউন্ডেশন এমন কৌশলগত পরিকল্পনা করেছে, যাতে টিকার পরীক্ষা শেষ হওয়া ও তা নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করা যায়। সাধারণ সময়ে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা ও উৎপাদনে যেতে কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় লেগে যায়। সেরা পরিকল্পনাটি হচ্ছে, সেরা ভ্যাকসিনের ওপর নজর রাখা এবং উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশেই তা উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত থাকা। বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষ বা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। টিকা পাওয়া গেলে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সবার আগে তা দেওয়া উচিত। প্রথম আলো: কবে নাগাদ টিকা উৎপাদনে যেতে পারবে তারা? ফেরদৌসী কাদরী: একবার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় টিকাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম এমন উপাত্ত হাতে পেলেই কোম্পানিগুলো ব্যাপক উত্পাদনে যেতে পারবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৮ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। ভ্যাকসিন কাজটি এখন বৈশ্বিক সহযোগিতার অনন্য উদাহরণ। ভ্যাকসিনের পরীক্ষা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, যাতে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালগুলোর ফলাফল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাওয়া যাবে। প্রথম আলো: বিশ্বের কত মানুষের টিকার দরকার হবে? কোম্পানিগুলো কত টিকা উৎপাদন করতে পারবে? ফেরদৌসী কাদরী: সার্স-কোভ-২ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। এ কারণে বিশ্বের সমস্ত লোক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য দেখায় যে ৬০-ঊর্ধ্বরা বেশি ঝুঁকিতে এবং তাঁদের মারা যাওয়ার হারও বেশি। তবে এটা সব জায়গায় আবার এক নয়। আমাদের দেশে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদেরও সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে ও হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। উপসর্গহীন অনেক রোগী দেখা যাচ্ছে। তারা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে ও মহামারি বিস্তার করতে পারে। তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা এটি ছড়াতে না পারে। তাই প্রচুর ডোজ প্রয়োজন হবে। তাই নতুন টিকা হাতে এলে কোম্পানিগুলো যেন অল্প সময়ে ১ লাখ থেকে শুরু করে ১০ লাখ উৎপাদন করতে পারে, সে বিষয়ে কাজ হচ্ছে। প্রথম আলো: টিকা বিতরণ হবে কীভাবে? মানুষকে কি টিকা কিনতে হবে? ফেরদৌসী কাদরী: বিতরণের আগে ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হওয়া প্রয়োজন। একবার অনুমোদিত হয়ে গেলে আশা করা যায় যে দ্রুতগতিতে আরও পরিকল্পনা করা যাবে। দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত একটি বৈশ্বিক এবং জরুরি সংরক্ষণাগারের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি মজুত করতে হবে এবং দেশের টিকাদান ও রোগ নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে। যখন প্রচুর টিকা উৎপাদন করা যাবে তখন বাজার থেকে কেনার সুবিধা চলে আসবে। প্রথম আলো: বাংলাদেশে টিকা কবে নাগাদ আসতে পারে? ফেরদৌসী কাদরী: ভ্যাকসিনটি আমাদের দেশের জন্য সহজলভ্য হতে পারে, তবে তার আগে আমাদের এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা দরকার। আমাদের দেখতে হবে যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং প্রতিরোধক্ষম কি না। অন্য দেশের মানুষের ওপর পরীক্ষার তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ । তবে এখানেও দ্রুত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি নেওয়া দরকার। প্রথম আলো: দ্রুত টিকা আনার ব্যাপারে সরকারের কী ভূমিকা পালন করা দরকার। এখন আমাদের কোন ধরনের প্রস্তুতি দরকার? ফেরদৌসী কাদরী: বিশ্বজুড়ে গবেষকেরা কাজ শুরু করেছেন। অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে এটাও বোঝা দরকার যে প্রকৃতিকভাবে কতটুকু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধদের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। সবার তথ্য যথাযথভাবে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশে মহামারি মোকাবিলার জন্য ভ্যাকসিনের ভূমিকা নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি, যাতে আমরা তাদের ফলাফল ও পর্যবেক্ষণ থেকে উপকৃত হতে পারি। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে চিন্তাভাবনা প্রক্রিয়াটি প্রচলিত চিন্তাভাবনা থেকে পৃথক হওয়া উচিত। সব দেশ ও মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষের রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি মহামারিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপসর্গহীন সংক্রমণ এড়াতে ভ্যাকসিন দেওয়ার দরকার হবে। যদি ভ্যাকসিনের পরিমাণ কম হয়, তবে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের কথা আগে ভাবতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশের মহামারি থেকে তথ্যগুলোর যত্নসহকারে মডেলিং করা দরকার, যাতে আমরা ভ্যাকসিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকি। আমরা অদূর ভবিষ্যতের ওপর আশা রাখতেই পারি। | সাক্ষাৎকার,করোনাভাইরাস,চিকিৎসা | অধ্যাপক ফেরদৌসী কাদরী | opinion |
https://www.dailynayadiganta.com/usa-canada/419497/ইরান-হামলা-থেকে-পিছু-হটার-কারণ-জানালেন-ট্রাম্প | ইরান হামলা থেকে পিছু হটার কারণ জানালেন ট্রাম্প | ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ১৩ কোটি ডলারের মার্কিন ড্রোন নামানোর পাল্টা জবাব দিতে ইরানের ওপরে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল মার্কিন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে হামলার সব প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছিল। হামলার জেরে ইরানের সেনাবাহিনী বা সাধারণ মানুষের ক্ষতি এড়াতে বেছে নেয়া হয়েছিল এই সময়টা। লক্ষ্য ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাটারি এবং কিছু রেডার। সব বিমান এবং জাহাজ যখন হামলার জন্য তৈরি, ঠিক তার আগে হামলার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসা হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ নিজেই টুইট করে জানান সে কথা। হামলা চালানোর মাত্র দশ মিনিট আগে সিদ্ধান্ত বদল করে পিছিয়ে আসেন তিনি। কারণ এক জেনারেল তাকে জানান, হামলায় অন্তত ১৫০ মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন। তা শোনার পরেই সিদ্ধান্ত পাল্টান প্রেসিডেন্ট। শনিবার টুইটে তিনি লিখেছেন, 'কোনও তাড়া নেই। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছেই, কাল রাত থেকে আরও নিষেধ চাপানো হচ্ছে। আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরান কোনও দিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারবে না, গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে তো নয়ই।' প্রথমে মার্কিন প্রশাসনিক সূত্র উদ্ধৃত করে সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার আগে হামলা করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ইরানের মার্কিন ড্রোন নামানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাপ আসতে থাকতে প্রেসিডেন্টের উপরে। রিপাবলিকানরা চাইছিলেন, এর যথাযোগ্য জবাব দিক আমেরিকা। ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে আসে সতর্কবার্তা। ইরান নীতি নিয়ে যারা কট্টর, তারা চাপ বাড়িয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকর্মীদের উপরে। ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, আমেরিকা যুদ্ধে নামলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। সিএনএনের দাবি, এই নিয়ে একের পর এক বৈঠক হয়েছে শুক্রবার। হোয়াইট হাউসে দীর্ঘ বিতর্ক চলেছে কংগ্রেসের নেতা এবং জাতীয় নিরাপত্তা দফতরের শীর্ষ অফিসারদের মধ্যে। সিএনএনের দাবি ছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই সিদ্ধান্ত বদল করেছেন, নাকি তার প্রশাসন কৌশলগত কারণে পিছিয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। | null | ইরান হামলা থেকে পিছু হটার কারণ জানালেন ট্রাম্প | international |
https://www.bd-pratidin.com/national/2019/10/26/469367 | রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরছেন রবিবার | রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাপান ও সিঙ্গাপুরে আট দিনের সফর শেষে আগামীকাল রবিবার দেশে ফিরছেন। শনিবার রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য জানান। রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স লিমিটেডের একটি নিয়মিত ফ্লাইট (ফ্লাইট নং এসকিউ ৪৪৬) আগামীকাল সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রা.) আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে অবতরন করবে। খবর বাসসের সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানাবেন।
রাষ্ট্রপতি ২০ অক্টোবর থেকে জাপানে ৬ দিনের সরকারি সফর শেষে গতকাল শুক্রবার সিঙ্গাপুরে পৌঁছেন। তিনি মঙ্গলবার টোকিওতে জাপানের নতুন সম্রাট নারুহিতোর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। টোকিওতে রাজ প্রাসাদে বিভিন্ন দেশের প্রায় ২ হাজার নেতা এবং ১৭৪ টি দেশ ও অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সামনে নিজেকে সে দেশের ১২৬ তম সম্রাট হিসেবে ঘোষণা দেন। ৫৯ বছর বয়স্ক সম্রাট নারিহিতো তার ৮৫ বছর বয়স্ক পিতা সম্রাট অ্যামিরিতাস অকিহিতোর অবসরে যাবার পর গত ১ মে দেশটির নতুন সম্রাট হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি একই দিনে জাপানের নতুন সম্রাট নারুহিতো এবং সম্রাজ্ঞী মাসাকোর দেয়া ভোজ সভায় যোগ দেন। তিনি পর দিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দেয়া অপর এক ভোজ সভায়ও যোগ দেন। উপ-প্রেস সচিব জানান, রাষ্ট্রপতি ২৫ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে জাপান ত্যাগ করেন। তিনি আগামীকাল দেশে ফিরবেন। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত | null | রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ | national |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/মনে-বাজে-ভূপেন-হাজারিকা | মনে বাজে ভূপেন হাজারিকা | আজ ৫ নভেম্বর। বাংলা ভাষার গণসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ভূপেন হাজারিকার প্রয়াণদিবস। বাংলা ভাষাভাষী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং এই বাংলাদেশে এমন কোনো শিক্ষিত মানুষ পাওয়া যাবে না, যিনি শিল্পী ভূপেন হাজারিকার নাম শোনেননি। তাঁর 'মানুষ মানুষের জন্য' গানটি বিবিসির শ্রোতা জরিপে সর্বকালের প্রথম ১০টি জনপ্রিয় গানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল। শেষ জীবনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় অনেক আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছিল। মৃত্যুর পরেও ভূপেন হাজারিকার গান মানুষকে আগের মতোই মুগ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল রাজনীতির সক্রিয় কর্মী ছিলাম বলে প্রায়ই ধ্রুপদি ধারার গানের মতো গণসংগীত শোনা হতো। হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সলিল চৌধুরী ও ভূপেন হাজারিকাই সবচেয়ে বেশি শোনা হতো। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গানের সঙ্গে যে বয়ান বা গল্পগুলো থাকত, তার মাধ্যমেই ভারতবর্ষের বাইরের অনেক গণসংগীতশিল্পীকে চিনতে পেরেছিলাম। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কাছেই পল রোবসন, বব ডিলান ও পিট সিগারের কথা শুনেছিলাম। এই তিনজনের গানের মধ্যে কেন জানি আমার একটু বেশি সহজবোধ্য মনে হতো ভূপেন হাজারিকাকে। সুরের দিক থেকে বিচার করলে অত্যন্ত সুরেলা ছিল তাঁর কণ্ঠ। যেসব গান নিয়মিত শোনা হতো, তার মধ্যে 'শরৎ বাবু, খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছে', 'বিস্তীর্ণ দুপায়ে অসংখ্য মানুষের হাহাকার', 'গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা', 'মানুষ মানুষের জন্য', 'আমি এক যাযাবর', 'দোলা হে দোলা', 'বিমূর্ত এই রাত্রি আমার'। ভূপেন ছোটবেলা থেকেই আনন্দীরাম দাস, পার্বতী প্রসাদ বড়ুয়া ও কমলানন্দ ভট্টাচার্য নামের তিনজন গীতিকারের মাধ্যমে স্থানীয় বরগীত, গোয়ালপাড়ার গান, চা-মজদুরের গান, বিহুগীতসহ বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ সংস্কৃতির রস আস্বাদন করেন। অসমিয়া সংগীতের পুরোধা এই ওস্তাদেরাই প্রাথমিকভাবে তাঁকে প্রভাবিত করেন। পরবর্তী সময়ে জ্যোতিপ্রসাদ নামের একজন সংস্কৃতির সুধাসাধক ও শিল্পমোদী, যিনি একাধারে সংগীত, চলচ্চিত্র, নাটক-থিয়েটার প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁর প্রভাব ভূপেন হাজারিকার জীবনে পড়েছিল। জ্যোতিপ্রসাদের মতো হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত ও উচ্চাঙ্গ নৃত্যের ওস্তাদ বিষ্ণুপ্রসাদ রাভার হাত ধরেই সংগীতের জগতে ভূপেন হাজারিকার পা পড়ে। তিনি ছোটবেলা থেকেই সর্বভারতীয় সংগীতের বিভিন্ন ধারা-উপধারার মতো গণসংগীত বুঝতে শেখেন। কাজী নজরুল ইসলাম, মুকুন্দ দাস থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশের বহু নামীদামি লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পী, বিশেষ করে সত্যেন সেন, শচীন দেববর্মন, আবু জাফর শামসুদ্দীন, আলতাফ মাহমুদসহ অনেকের সঙ্গে সখ্য ছিল। এ কারণে তাঁর গানের ওপর তাঁদের প্রভাবও ব্যাপকভাবে ছিল বলে আমি মনে করি। ভূপেন হাজারিকার মার্ক্সবাদী জীবন-দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠার পাশাপাশি গানের ওপর প্রভাব তৈরির ক্ষেত্রে বিদেশি সংগীতজ্ঞের প্রণোদনাও ব্যাপকভাবে কাজ করেছে। বিশেষ করে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় তাঁর ক্যাম্পাসে তখনকার সময়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় নাইজেরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কবি, লেখক, সংগীতশিল্পী, নিগ্রো আন্দোলনের নেতা ও অ্যাকটিভিস্ট গণসংগীতশিল্পী পল রোবসন কনসার্ট করতে আসেন। সেখান থেকেই 'ও মিসিসিপি' গানটি শুনে তিনি একেবারে পল রোবসনের ভক্ত হয়ে ওঠেন। পল রোবসনের প্রভাবেই পরবর্তী সময়ে তিনি 'বিস্তীর্ণ দুপায়ে অসংখ্য মানুষের হাহাকার' গানটি রচনা করেছিলেন। অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ও বেদনার্ত আবেগের এই গান। আমি মনে করি, এই গানের মৌলিকত্ব, সংগীতীয় আবেগ ও দ্যোতনা কোনোভাবেই পল রোবসনের গানের চেয়ে কম নয়। পল রোবসনের পাশাপাশি ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরুদ্ধ ও ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আমেরিকার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর বলে খ্যাত বব ডিলান, পিট সিগার দ্বারাও তিনি ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলেন। একইভাবে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক সংগঠন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য হয়ে দেবব্রত বিশ্বাস, সলিল চৌধুরী, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়সহ অন্য অনেকের প্রভাবে মানবতাবাদী, জীবনমুখী গান রচনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠেন। ভূপেন হাজারিকার গান বাণী ও বিষয়বৈচিত্র্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বহুমুখী। তিনি আজীবন মানবতাবাদী, সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে মানবপ্রেমই তাঁর গানের মূলকথা। তাঁর গানের মধ্যে মানবিকতা, দেশপ্রেম ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার বহিঃপ্রকাশ চিরায়ত। বিশেষ করে 'মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য', 'আমায় একজন সাদা মানুষ দাও, যার রক্ত সাদা', 'আজ জীবন খুঁজে পাবি, ছুটে ছুটে আয়' 'গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা', 'শরৎ বাবু, খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছে', 'সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনাতে নজরুল' গানগুলো মানুষের মধ্যে জাত-পাতে, বর্ণবাদ ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে ওঠার ডাক দেয়। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের মতো প্রেম নিয়েও অনেক গান দেখতে পাই। এই যেমন 'সহস্রজনে মোর প্রশ্ন করে', 'মাইয়া ভুল বুঝিস না, ও মাইয়া ভুল বুঝিস না', 'বিমূর্ত এই রাত্রি আমার, মৌনতার সুতোয় বোনা' গানগুলো মানুষকে আবেগপ্রবণ জীবনের দিকে পথনির্দেশ করে। গোলপাড়িয়ার গানগুলোর কথা, বিশেষ করে প্রতিমা পান্ডের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে যে গানগুলো গেয়েছেন, তা ভূপেন হাজারিকার অমর সৃষ্টি। আমি এখনো যখন প্রতিমা পান্ডের সঙ্গে 'মোর মাহুত বন্ধু রে' গানটি শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারি না। মানবতাবাদ, প্রেম, প্রকৃতি, লোকগানের পাশাপাশি তাঁর গানে আশাবাদিতার একটি ছাপ থাকে। তিনি যখন তাঁর গানে বলে ওঠেন 'আজ জীবন খুঁজে পাবি ছুটে ছুটে আয়, মরণ ভুলে গিয়ে ছুটে ছুটে আয়', তখন মানুষ হতাশার, স্বপ্নভঙ্গের রূঢ় বাস্তবতার বাইরে বেঁচে থাকার অপ্রতিরোধ্য স্বপ্ন না দেখে বাঁচতে পারে না। এটাই তাঁর গানের অন্তর্নিহিত শক্তি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধ এবং এই অঞ্চলের মানুষের ইতিহাসের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, শরণার্থীদের সহযোগিতার জন্য কনসার্ট করেছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, জর্জ হ্যারিসন, বব ডিলান ও জোয়ান বায়েজের মতো বিখ্যাত শিল্পীরা। কিন্তু সরাসরি রণাঙ্গনের যোদ্ধা এবং বাংলাদেশের আপামর জনগণের জন্য তাঁর 'গঙ্গা আমার মা', 'দোলা হে দোলা', 'বিস্তীর্ণ দুপায়ে অসংখ্য মানুষের হাহাকার' গানগুলো ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা তো বটেই, পরবর্তীকালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও মানবিক সংকটে যুবক, তরুণদের নিত্যদিনের খোরাক এই গানগুলো। শুধু তা-ই নয়, আসামে জন্ম হলেও বাংলাদেশের প্রতি ভূপেন হাজারিকার প্রতি মায়া, ভালোবাসা ও আবেগ সব সময়ই একটু বেশি ছিল বলে তাঁর সারা জীবনের সঙ্গি কল্পনা লাজমির জবানবন্দি থেকে উঠে আসে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বহুজনকে বাংলাদেশের সরকার বিভিন্ন উপাধি, পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করলেও ভূপেন হাজারিকাকে এখনো কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। অথচ বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার রীতিও প্রচলিত আছে। ভবিষ্যতে এটা হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শিল্প-সংস্কৃতির বলয়ের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের সঙ্গেও এ বাংলার মানুষের হৃদ্যতা বাড়ত বলেই আমি মনে করি। জীবনের শেষ মুহূর্তে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান, কল্পনা লাজমির সঙ্গে প্রথাবিরোধী সাংসারিক জীবন, এমনকি ভূপেন হাজারিকার গানে পেটিবুর্জোয়া শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত মানবতাবাদী ঝোঁক নিয়ে সমালোচনা আছে। এসব সমালোচনার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আংশিক সত্যতা থাকলেও আমি মনে করি, তাঁর গান আমাদের সংগীতাকাশের নক্ষত্র। আজকের দিনে আমাদের তাই ভূপেন হাজারিকাকে বড় বেশি প্রয়োজন। বিনম্র শ্রদ্ধা ভূপেন হাজারিকা। মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। | বিবিধ | শিল্পী ভূপেন হাজারিকা | opinion |
https://samakal.com/entertainment/article/200417856/টানলেও-এলাকায়-যেতে-পারছি-না-মমতাজ | মন টানলেও এলাকায় যেতে পারছি না: মমতাজ | মমতাজ। লোকগানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী। করোনা সচেতনতায় 'মনটা ভইরা যায়' শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন তিনি। ব্র্যাকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে আড়াই মিনিটের এ গান। গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে-অনেক শব্দ হচ্ছে। ঘরের বাইরে নাকি?
হ্যাঁ, এখন নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনে। আজ [গত শুক্রবার] এলাকার জনসাধারণের খোঁজখবর নিতে এসেছি। সংসদ সদস্য হিসেবে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে হচ্ছে। এর আগে বেশ কয়েক দিন ঘরবন্দি ছিলাম। মন টানলেও সব সময় এলাকায় যেতে পারছি না। কারণ আমি গেলেই অনেক লোক জড়ো হয়। এ সময় যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে, তাই এলাকায় কম ঘোরাফেরা করছি। মমতাজ। লোকগানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী। করোনা সচেতনতায় 'মনটা ভইরা যায়' শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন তিনি। ব্র্যাকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে আড়াই মিনিটের এ গান। গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে- ঘরে থাকা সময়টা কীভাবে কাটে?
গত দুই সপ্তাহ ঘরেই সময় কেটেছে। কাজের ব্যস্ততায় সন্তানদের সময় দিতে পারি না। এখন তাদের সঙ্গে মধুর সময় কাটাই। গান শুনি। টিভিতে খবর দেখে নিজেকে আপডেট রাখি। বাইরে না বেরুলেও অনেকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে রান্নাঘরেও উঁকিঝুঁকি দিই।
করোনা সচেতনতায় একটি গান করেছেন। কেমন হলো এবারের গানটি?
অনেকেই বলেছেন, গানটি ভালো হয়েছে। ব্র্যাকের সহায়তায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য 'বুকটা ফাইট্টা যায়' গানের সুরে এটি তৈরি হয়েছে। 'মনটা ভইরা যায়' এমন কথায় গানের সংগীতায়োজন করেছেন লাবিক কামাল গৌরব। গানে গানে সচেতনতার বার্তা দিয়েছি। সবাই যখন ঘরবন্দি তখন গানটির পরিকল্পনা চলছিল। কীভাবে গানটি রেকর্ডিং হবে, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। সংগীত পরিচালক গৌরব একবার বলেছিলেন ঘরে বসে রেকর্ডিং করতে। সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো হবে না ভেবে আমি রাজি হইনি। তাই ঝুঁকি নিয়ে মহাখালীর বাড়ি থেকে বের হয়ে গুলশানের একটি স্টুডিওতে গানে কণ্ঠ দিয়েছি। অবশ্য সব ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েই সেখানে গিয়েছিলাম।
আপনার গাওয়া পুরোনো জনপ্রিয় গানের সুরে এ গানটি করেছেন। এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে?
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সচেতনতার জন্য গানটি করা হয়েছে। গ্রামের মানুষের কাছে 'বুকটা ফাইট্টা যায়' গানটি খুবই জনপ্রিয়। যাতে মানুষ গানটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করতে পারে, তাই গানটি পুরোনো সুরে করেছি।
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসা যাক, অনেক দিন ধরে প্রচলিত গান সংগ্রহ করছেন। সেগুলো নিয়ে কোনো সংকলন প্রকাশ করবেন কি?
ইচ্ছা আছে। যেসব লোকগান অনেকে শোনার সুযোগ পাননি, তা নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করার। মমতাজ ফাউন্ডেশন এতে সহযোগিতা করছে। গানগুলো খুঁজে পেতেও সময় লাগছে। এ জন্য বেশ কষ্টও করতে হচ্ছে। এ কাজে অনেকেই আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। | মমতাজ | লোকগানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী মমতাজ | entertainment |
https://www.ajkerpatrika.com/162705/%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8 | শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি | মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি ও বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল গার্ড অব আনার প্রদান করে।প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। | পুলিশ,ঢাকা বিভাগ,আইজিপি,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,স্বাধীনতা,স্বাধীনতা দিবস,ঢাকা | শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শহীদ পুলিশ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/2876/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E2%80%8C%E2%80%98%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E2%80%99 | অস্কারে যাচ্ছে অমিতাভের 'রিকশা গার্ল'! | অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত 'রিকশা গার্ল' দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ইন্টারন্যাশনাল চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য মনোনীত হয়েছে। ২২ জুলাই থেকে ১ অগস্ট পর্যন্ত আয়োজিত এ উৎসবে ছবিটি প্রদর্শনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন অমিতাভ।সিনেমাটির মার্কিন প্রযোজক এরিক জে অ্যাডামসকে উদ্ধৃত করে অমিতাভ রেজা জানান, এখন সিনেমাটি অস্কারে জমা দেওয়া যাবে। হলিউডের সিনেমা হিসেবেই মুক্তি পাবে ও অস্কারে যাবে।তিনি বলেন 'ছবিটি ডারবান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছে। তাদের এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ছবিটি অস্কারে জমা দেওয়ার জন্য কোয়ালিফায়েড হলো।'যোগাযোগ করা হলে অমিতাভ জানান, অস্কারে জমা দেওয়ার এই পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নন। তবে এ আয়োজনের ফলে অস্কারে সিনেমা জমা দেওয়া সহজ হয়। ইংরেজি ভাষায় নির্মিত এ ছবিটি এখনও মুক্তি পায়নি।ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখিকা মিতালি পারকিনসের লেখা 'রিকশা গার্ল' অবলম্বনে চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন নাসিফ আমীন।এদিকে, সিনেমাটি বাংলাদেশে কবে মুক্তি পাচ্ছে, এ প্রসঙ্গে নির্মাতার উত্তর, 'আমি সঠিক জানি না। পোস্ট প্রডাকশনের কাজ শেষ।' | বিনোদন,সিনেমা,অস্কার | রিকশা গার্ল সিনেমায় নভেরা রহমান | entertainment |
https://samakal.com/whole-country/article/19101114/জামায়াতের-১৩-নারী-সদস্য-ও-এক-মাদ্রাসা-অধ্যক্ষ-আটক | পাবনায় জামায়াতের ১৩ নারী সদস্য ও এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আটক | পাবনায় গোপন বৈঠক চলাকালে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসালামী ছাত্রী সংস্থার ১৩ নারী সদস্য ও এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১০টার দিকে পাবনা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫নং সড়কের ১১৯নং বাড়ির মালিক সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন। দ্বিতল এই বাড়ির নিচ তলায় জামায়াতের নারী সদস্যদের আস্তানা ছিল। এখান থেকে নারী সদস্যরা মেয়েদের সংগঠিত এবং নাশকতার ছক পরিচালনা করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ১০টার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে বৈঠক করা অবস্থায় জামায়াতের ১৩ নারী সদস্য এবং বাড়ির মালিক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনকে আটক করে। ওই আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মনসুরাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। আটকদের পাবনা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরে তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করা হবে। তিনি আরও জানান, বাড়ির মালিক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আটক নারীরা বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানা গেছে। | জামায়াত,পাবনা,জামায়াতের নারী সদস্য,গোপন বৈঠক | আটক নারীদের কয়েকজন | national |
https://www.ajkerpatrika.com/141876/%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%82%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%87 | ছিনতাইয়ের জন্য হত্যা করা হয় নূর আলমকে | সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য প্রথমে অটোরিকশাচালক নূর আলমের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে ড্রাই মেশিন দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে লাশ অন্য জায়গায় ফেলা হয়। এরপর অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান ঘাতকেরা।গত বৃহস্পতিবার পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নূর আলম হত্যার কথা স্বীকার করে এসব কথা জানান মোমিন সরকার ও নেজাম উদ্দীন ওরফে মিজান।এর আগে পটিয়া থানা-পুলিশ মোমিন সরকার ও নেজাম উদ্দিনকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোমিন সরকারের জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান। তারিক রহমান বলেন 'সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য মোমিন সরকার ও নেজাম উদ্দীন দু-তিন দিন আগে পরিকল্পনা করেন। তাঁরা গাড়িচালক নূর আলমের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তাঁর গাড়ি ভাড়া করে বোয়ালখালীতে নিয়ে যান। নূর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক করেন।'এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে পটিয়া পৌর এলাকা থেকে মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ছিনতাই হওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।গত মঙ্গলবার দুপুরে মোমিনকে পটিয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারক বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ এক সপ্তাহের রিমান্ড চাইলে বিচারক তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।এদিকে গত বুধবার রাতে নেজাম উদ্দিনকে আটক করা। তিনি পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা।জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে পটিয়ার কর্তলা এলাকায় রাস্তার পাশে অটোরিকশাচালক নূর আলমের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই দিন রাতে নূর আলমের স্ত্রী মুন্নি আকতার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। নূর আলম পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের ইদির মোল্লাবাড়ির মো. আলীর ছেলে। | চট্টগ্রাম বিভাগ,পটিয়া,চট্টগ্রাম ,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,চট্টগ্রাম কক্সবাজার | ছিনতাইয়ের জন্য হত্যা করা হয় নূর আলমকে | national |
https://www.ajkerpatrika.com/174898/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BF | অনাবৃষ্টি-তাপে ফসলের ক্ষতি | ফাল্গুন শেষে চৈত্র পেরিয়ে বৈশাখ এলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা। আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হলেও বগুড়ায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় আম, জাম, লিচুর ফলন, বোরো ধানসহ রবিশস্যের ফলনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। সেই সঙ্গে জামগাছেও মুকুল আসছে না।বৃষ্টির অভাবে ধানের জমিগুলোতেও দেখা দিয়েছে পানিস্বল্পতা। অতিরিক্ত সেচের কারণে বাড়ছে ধানের উৎপাদন ব্যয়। বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে ধানের জমিতে শিষ সাদা হতে দেখা গেছে।এদিকে আইন উপেক্ষা করে নির্মাণকাজ পরিচালনা করা, ইটভাটা, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বাড়া, প্রাকৃতিক জলাধার ধ্বংস হওয়া ইত্যাদি কারণে প্রকৃতির বৈরী আচরণ ভাবিয়ে তুলছে আবহাওয়াবিদদের।অভিজ্ঞজনেরা বলছেন, প্রতিবছরের ফাল্গুন ও চৈত্র মাস মিলিয়ে গড়ে সাতবার হয়ে থাকে ভারী এবং ঝোড়ো বৃষ্টি। কিন্তু বগুড়া সদর এলাকায় এ বছরের গত দুই মাসে মাত্র একবার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর দীর্ঘ দেড় মাসে বৃষ্টির দেখা আর মেলেনি।জেলার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বগুড়া জেলা অন্যতম কালবৈশাখী ও বজ্রবৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। প্রতিবছরের এপ্রিল মাসের গড় বৃষ্টিপাত ৮০ দশমিক ৫ মিলিমিটার হয়। এ বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নির্মাণকাজে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা স্বাভাবিকের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে বজ্রপাতের আশঙ্কাও বাড়ছে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী মাসের বাকি দিনগুলোর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে।বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসেন বলেন, এ মাসে সারা দেশে তিনটি তাপপ্রবাহ হতে পারে। এর প্রভাবেই দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে।এদিকে তাপমাত্রা বাড়ায় মৌসুমি বিভিন্ন ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে, ডাবের বাদা মরে যাচ্ছে। এমনকি জামগাছে কোনো মুকুল আসছে না বলে তাঁরা জানান।শেরপুর উপজেলার উচরং গ্রামের সাইফুল ইসলাম সাফি বলেন, 'বৃষ্টির অভাবে আমার আমবাগানের গুটি ঝরে পড়ছে। কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।'একই এলাকার আজগর আলী বলেন, বৃষ্টির অভাবে তাঁর জামগাছে এখনো মুকুল আসেনি।একই সমস্যা বগুড়া সদর, শেরপুর, গাবতলী ও কাহালুর অঞ্চলগুলোতে দেখা গেছে।সদর উপজেলার কৃষক আফতাব ফকির ও আলম প্রামাণিক জানান, তাঁদের জমির তিন-চতুর্থাংশ ধানগাছের শিষ সাদা হয়ে গেছে।কিষানি রুমি খাতুন বলেন, 'দুই বিঘা জমিতে ঢ্যাঁড়স করেছি। গাছগুলো কুঁকড়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কচি ঢ্যাঁড়সে পোকা আক্রমণ করেছে। এগুলো পানির অভাবেই হয়।'এ ছাড়া করলা, শসা, বেগুন ও মরিচচাষিরাও জানিয়েছেন তাঁদের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা।বগুড়া কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার বগুড়ার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে ৬ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'এই সময়ে বৃষ্টি না হলে এবং তাপমাত্রা না কমলে ধানের পরাগায়ন ঘটবে না। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।'অন্যদিকে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) এনামুল হকের দাবি, পানির অভাবে নয়, ব্লাস্ট রোগের প্রভাবে ব্রি-২৮ ধানের শিষ শুকিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য রোগনিরোধক ওষুধ প্রয়োগের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। ব্রি-২৮ পুরাতন জাতের ধান। তাই এটিতে রোগবালাই হচ্ছে। এখন থেকে কৃষকদের উচিত ব্রি-৮১ ও ৮৮ চাষ করা। তিনি আরও বলেন, সেচের ব্যবস্থা থাকায় অনাবৃষ্টির প্রভাবে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না; বরং লক্ষ্যমাত্রার বেশিই ফলন হতে পারে। তবে বৃষ্টির অভাবে রবিশস্য এবং আম, লিচুর গুটি ঝরে যাওয়াসহ ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. আব্দুল হাই বলেন, 'বিভিন্ন কারণেই বৃষ্টিপাত কম হতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করে একটা এলাকার পরিবেশকে আমরা কীভাবে পরিচালনা করব। সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। ফলে আমাদের অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শব্দদূষণসহ বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ জন্য আমাদের সমন্বিত পরিবেশ পরিকল্পনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।' | বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,বৃষ্টি,রাজশাহী,ছাপা সংস্করণ,রাজশাহী সংস্করণ,বগুড়া সিরাজগঞ্জ জয়পুরহাট,শেরপুর(বগুড়া),ফসল | বৃষ্টির অভাবে কোথাও কোথাও মাঠ ফেটে চৌচির। টি বগুড়ার শেরপুরের উড়চং গ্রাম থেকে গত বুধবার | national |
https://www.prothomalo.com/politics/সাবলু–ডিউক-থাকলেও-আলোচনার-কেন্দ্রে-জিয়াউদ্দিন | সাবলু-ডিউক থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রে জিয়াউদ্দিন বাবলু | রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন জিয়াউদ্দিন বাবলুর নাম। তিনি জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব। বর্তমানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। বাবলু ছাড়াও ওই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন বদরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু। এই আসনে জাতীয় পার্টির শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। অতীতের নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী ওই আসনে বিএনপির অবস্থান তুলনামূলকভাবে দুর্বল। এখানে বিএনপির মোহাম্মদ আলী সরকার ও মাহফুজ উন নবী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এলাকায় হঠাৎ জিয়াউদ্দিন বাবলুর নাম আলোচনায় আসে জাপা থেকে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর। আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ আবুল কালাম মো. আহসানুল হকেরও (ডিউক চৌধুরী) এখন মাথাব্যথা বাবলুকে নিয়ে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় বাবলুকে মহাজোটের প্রার্থী করা হলে ডিউক চৌধুরীকে দলের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হতে পারে। স্থানীয় জাপা সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে জাতীয় পার্টি এখানে তিন ধারায় বিভক্ত। একটি ধারার নেতৃত্বে রয়েছেন জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ আনিছুল ইসলাম মন্ডল, অন্য ধারায় আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু এবং বাকি ধারায় জাতীয় আইনজীবী ফোরামের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাম্মেল হক চৌধুরী। জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বলেছে, আনিছুল ইসলাম মন্ডলের নেতৃত্বাধীন ধারাটি শক্তিশালী। আনিছুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন দেওয়ায় অন্য দুই ধারার জাপার নেতা-কর্মীরা দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদের প্রতি নাখোশ হয়েছেন। জাপার নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আসাদুজ্জামান চৌধুরী বদরগঞ্জ উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে জাপায় যোগ দিয়ে জাপার সাংসদ আনিছুল ইসলাম মন্ডলকে টপকিয়ে বদরগঞ্জ উপজেলার জাপার সভাপতির পদ পেয়ে যান এবং সংসদ নির্বাচনে নতুন দলের প্রার্থী হিসেবে ওই আসনে মনোনয়ন পান। পরে এরশাদের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তখন বিনা ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হন বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মো. আহসানুল হক ওরফে ডিউক চৌধুরী। জিয়াউদ্দিন বাবলু জাপার কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায় এলাকায় জাপার নেতা, কর্মী ও সমর্থক ভোটারদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। তাঁর পক্ষে ও বিপক্ষে দুই ধরনের আলোচনাই চলছে। আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বিরোধী জাপার দুটি ধারা মন্দের ভালো হিসেবে বহিরাগত হলেও জিয়াউদ্দিন বাবলুকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিচ্ছেন। মোকাম্মেল হক চৌধুরীর ধারাটি প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছেন বাবলুর পক্ষে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আপাতত মুখ খুলছেন না আরেক ধারার নেতা আনিছুল ইসলাম মন্ডল। তবে তাঁর অনুসারীরাও বাবলুকে এখন সমর্থন দিচ্ছেন। আসাদুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ধারাটি বাবলু হটাও আন্দোলনে নেমেছে। বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগও তিন ধারায় বিভক্ত। একধারার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাংসদ ডিউক চৌধুরী, অপর ধারায় বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহসানুল হক (টুটুল চৌধুরী)। ডিউক ও টুটুল চাচাতো ভাই। আরেক ধারার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু। টুটুল চৌধুরীর সঙ্গে আছেন বদরগঞ্জ পৌরসভার টানা চারবারের নির্বাচিত মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উত্তম কুমার সাহা ও বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ নেতা ফজলে রাব্বী সুইট। টুটুল চৌধুরী, উত্তম কুমার সাহা ও বিশ্বনাথ সরকার দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা ডিউক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্থানীয় জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলেছেন এবং চেষ্টা করেছেন ডিউক চৌধুরী যেন মনোনয়ন না পান। তবু ডিউক চৌধুরীই মনোনয়ন পেয়েছেন। এতে অন্য দুই ধারার নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও বাবলুকে প্রাধান্য দেওয়া শুরু করেছেন। তাঁদের ধারণা, শেষ পর্যন্ত বাবলুই মহাজোটের প্রার্থী হবেন। জিয়াউদ্দিন বাবলু প্রথম আলোকে বলেন, 'ইতিমধ্যে ওই আসনের আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অসংখ্য নেতা-কর্মী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা আমাকেই ওই আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। এতে আমি অভিভূত হয়েছি।' কেন্দ্রের নির্দেশনার বাইরে গেলে দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন-এমন আশঙ্কায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই ধারার নেতা-কর্মীরা আপাতত মুখ খুলছেন না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, ডিউক চৌধুরীকে মহাজোটের প্রার্থী করা হলে তাঁরা ও তাঁদের অনুসারীরা ডিউকের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন না। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, চট্টগ্রামের একটি আসনে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাজোটের প্রার্থী করার কথা ছিল। কিন্তু আসনটি জাপাকে ছাড়তে রাজি হয়নি আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, রংপুর-২ আসনটি ছাড়তে চাননি জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ। তাই বাবলুকে স্থান করে দিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ইঙ্গিতে এই আসনে বাবলুকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেন এরশাদ। এতে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ দুই দলের মধ্যকার দ্বন্দ্ব কিছুটা দূর হবে, বাবলুকে জিতিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং এরশাদ সন্তুষ্ট থাকবেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে মহাজোটের হয়ে জাপার প্রার্থী আনিছুল ইসলাম মন্ডল দেড় লাখের বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তিনি ভোট পেয়েছিলেন প্রায় ৩৬ হাজার। বদরগঞ্জের আমরুলবাড়ি এলাকার ভোটার ইদ্রিস আলী (৪৫) প্রথম আলোকে বলেন, 'বাহে, শুনচি জাতীয় পাটিত আর আওয়ামী লীগোত নেজেরা নেজেরা কামড়াকামড়ি শুরু করি দেচে। তাহইলে ওরা ভোটোত টিকপে কেমন করি? ফাঁকোতে জাতীয় পাটিত বাবলু ঢুকি গেইচে। ভোট দেউক না দেউক সবায় এ্যালা বাবলুর নাও (নাম) কওচে। কিন্তুক হামরা তাক কোনো দিন দেকি নাই।' তারাগঞ্জের ইকরচালির তরুণ ভোটার শওকত হোসেন (২৫) বলেন, বাবলুর নাম ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইভাবেই এলাকায় আলোচিত হচ্ছে। উচ্চশিক্ষিত ও অগাধ অর্থসম্পদের মালিক জনগণের গম-চাল মেরে খান না। তিনি আরও বলেন, 'দেখি, শেষ পর্যন্ত ভোটের ময়দানে কারা প্রার্থী থাকেন। ইতিপূর্বে দুর্নীতি করেছেন কিংবা ভবিষ্যতে দুর্নীতি করতে পারেন-এমন প্রার্থী যে দলেরই হোক, তাঁকে ভোট দেব না।' | রংপুর,একাদশ সংসদ নির্বাচন,রাজনীতি,নির্বাচন,,জাতীয় পার্টি,আওয়ামী লীগ | জিয়াউদ্দিন বাবলু। ফাইল ছবি | politics |
https://samakal.com/bangladesh/article/1910326/যেভাবে-গ্রেফতার-হলো-শীর্ষ-সন্ত্রাসী-জিসান | দুবাইয়ে যেভাবে গ্রেফতার হলো শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান | বাংলাদেশ পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পালিয়ে আছে- এমন খবর অনেক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এর মধ্যে কয়েক মাস আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা তাকে আইনের আওতায় আনতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেন। মাস দুয়েক আগে দুবাইয়ের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) তার অবস্থান শনাক্ত করে বাংলাদেশকে জানায়। তখন থেকেই সেখানে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়। তবে দুবাইয়ে সে আলী আকবর চৌধুরী নামে পরিচিত ছিল। পাসপোর্টও ছিল সেই নামে। এনসিবি ঢাকা ও দুবাই তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালায় নজরদারিতে থাকা ব্যক্তিই সন্ত্রাসী জিসান কি-না। সব তথ্য ঠিকঠাক মিলে যাওয়ার পর বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে সেখানকার পুলিশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশ তার গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। ২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগের একটি হোটেলে ডিবির দুই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যাসহ অসংখ্য হত্যা-চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত জিসান। ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিল তার নাম। প্রায় ১৬ বছর ধরে পলাতক এই সন্ত্রাসীর নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিশও জারি ছিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক বহনের অভিযোগের কথা উল্লেখ ছিল। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় গ্রেফতারের পর এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এনসিবি) মহিউল ইসলাম সমকালকে বলেন, দেশটির সঙ্গে বহিঃসমর্পণ চুক্তি না থাকলেও জিসানকে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে না। তবে এ জন্য কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইনি চুক্তি করতে হবে। তাছাড়া দুবাই থেকে কিছু তথ্য যাচাই করতে বলা হয়েছে। নতুন করে কিছু বিষয়ও তারা জানতে চেয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এসব প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা চালাবে পুলিশ। সংশ্নিষ্টরা জানান, রাজধানীর মতিঝিল, মালিবাগ, বাড্ডা, গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় একসময় ত্রাস হিসেবে পরিচিত ছিল জিসান ওরফে মন্টি। দুই ডিবি কর্মকর্তা হত্যার পর সে প্রথমে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে দুবাই চলে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সেখানে বসেই সে ঢাকার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। তার নামে চাঁদাবাজি করে আসছিল সহযোগীরা। মাঝেমধ্যেই বিদেশের ফোন নম্বর থেকে কল করে জিসান পরিচয়ে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করা হতো। আর চাঁদা না পেলে গুলি করা বা ককটেল হামলার ঘটনাও অনেকবার ঘটেছে। সম্প্রতি ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁঁইয়া ও ঠিকাদার জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় আসে জিসান। ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদে জিসানের দুবাইয়ে অবস্থানের ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনসিবি দুবাই বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাকে সেখানে বিচারিক হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, জিসান ও তার ভাই দুবাইয়ে অবস্থান করে নানারকম অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে তথ্য ছিল ডিবির কাছে। দুই মাস আগে ডিবির মাধ্যমে পাওয়া জিসানের সাম্প্রতিক ছবি, হালনাগাদ তথ্য ও কয়েকটি ফোন নম্বর দুবাই এনসিবি কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়। সম্প্রতি তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের তথ্যও তাদের জানানো হয়। সেগুলো যাচাই করে তারা জিসানকে নজরদারিতে রেখে জানায়, নাম মিলছে না এবং তার পাসপোর্টও বাংলাদেশের নয়। পরে দেখা যায়, জিসান ভিন্ন নামে 'ভারতের পাসপোর্ট' ব্যবহার করে সেখানে অবস্থান করছে। এই পাসপোর্টের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধানের মধ্যেই দুবাই জানায়, তার পাসপোর্টটি ডমিনিকান রিপাবলিকের। দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নিশ্চিত করে, এমন কোনো পাসপোর্ট তারা ইস্যু করেনি। এসব তথ্য দুবাই এনসিবিকে জানানো হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইন্টারপোলের রেড নোটিশটিও হালনাগাদ করা হয়। যুক্ত করা হয় নতুন করে পাওয়া তথ্য। শেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, দুবাই এনসিবির সব শর্ত পূরণের পর তারা জিসানকে ফেরত দেবে। এ ক্ষেত্রে তারা জিসানকে বাংলাদেশগামী বিমানে তুলে দেবে। ঢাকায় নামার পরপরই তাকে গ্রেফতার করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রাথমিকভাবে এমন আলোচনা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে বাংলাদেশের পুলিশ গিয়ে দুবাই থেকেও তাকে নিয়ে আসতে পারে। | যুবলীগ,শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান | রেড নোটিসে জিসান আহমেদবিবিসি বাংলা থেকে নেওয়া | national |
https://samakal.com/entertainment/article/210667261/নিজের-ডিজাইন-করা-পোশাকই-বেশি-পরি-আঁখি-আলমগীর | নিজের ডিজাইন করা পোশাকই বেশি পরি: আঁখি আলমগীর | আঁখি আলমগীর। তারকা কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি ফ্যাশন ডিজাইনার ও উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করছেন। নতুন গান নিয়েও পরিকল্পনা করছেন। গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে- কোন ভাবনা থেকে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন?
ছোটবেলা থেকেই ফ্যাশন সচেতন ছিলাম। ফ্যাশন নিয়ে কিছু করার স্বপ্ন ছিল অনেক আগে থেকেই। নতুন এ উদ্যোগের মাধ্যমে তা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছি। আমি রেডিমেড ডিজাইনের পোশাকের চেয়ে নিজের ডিজাইন করা পোশাকই বেশি পরি। সেসব পোশাক দেখে সবাই উৎসাহ দিতেন। যেজন্য কিছু করার সাহস পেয়েছি। আট মাস ধরে প্রস্তুতি শেষে বাজারে এনেছি 'মখমল' নামে একটি ব্র্যান্ড। আপাতত অনলাইনে করছি। ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাচ্ছি।
এ প্রয়াসের সঙ্গে আপনার মেয়েরাও কি যুক্ত আছেন-
হ্যাঁ, এ উদ্যোগের শুরু থেকে বড় মেয়ে স্নেহা আমার সঙ্গে ছিল। কোন কাপড়ের কী ডিজাইন হবে, রাত জেগে জেগে মা-মেয়ে পরিকল্পনা করেছি। তখন বুঝেছি, এ বিষয়ে তারও আগ্রহ রয়েছে। শাড়ি পরতে সে খুব পছন্দ করে। এক দিন বলল- 'আম্মু শাড়ির মডেল হিসেবে তুমি আমার সঙ্গে দাঁড়াবে?' আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হলাম। বড় মেয়ে মডেল হয়েছে; কিন্তু সবকিছু রেডি করেছে ছোট মেয়ে। বলতে পারেন 'মখমল' আমাদের তিনজনের প্রয়াস। এই উদ্যোগের একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করার পর সবাই বেশ প্রশংসা করেছেন।
মেলোডি-রোমান্টিকসহ অন্যান্য ধাঁচের গানেও নিজেকে তুলে ধরছেন...
একজন শিল্পী বলেই সব ধরনের গান গাইতে চাই। অনেকদিন একটানা মেলো-রোমান্টিক গান করেছি শুধু ভক্তদের ভালো লাগার কথা ভেবেই। পরে অন্যান্য ধাঁচেরও গানও গেয়েছি। নিরীক্ষাধর্মী কাজের জন্য এবং গায়কিতে নিজেকে ভাঙতে নানা ধরনের গান করেছি। সময়ের সঙ্গে চলতে চাই বলেই সবসময় ভিন্নধর্মী গান নিয়ে হাজির হই।
একক গানের পাশাপাশি নিয়মিত প্লেব্যাক করছেন। নতুন কাজের কী খবর?
'আশীর্বাদ' ও 'নীল কোট' নামে দুটি চলচ্চিত্রে সম্প্রতি প্লেব্যাক করেছি। আরও কিছু সিনেমার গানের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। দেখা যাক কী হয়।
চলচ্চিত্রের সংগীত বা গানে কতটা পরিবর্তন চোখে পড়ছে?
সিনেমাতেও নতুন দিনের হাওয়া বইছে। উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া নির্মাণে যেমন ভিন্নতা এনেছে, তেমনি অনেক নির্মাতা সিনেমার গল্প বলার ভঙ্গি বদলে দিয়েছেন। যেজন্য সিনেমার গানেরও পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সিনেমার গল্প, চরিত্র ও ঘটনার ওপর ভিত্তি করেই প্লেব্যাক করতে হয়। তাই আমাদেরও গায়কি এবং সংগীতের ধারা বদলে নিতে হয়েছে।
'সিঙ্গারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ'-এর নতুন কমিটি হয়েছে। এ সংগঠনের সঙ্গে আপনিও রয়েছেন। শিল্পীদের কল্যাণে কতখানি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ?
কমিটি গঠন করা হয়েছে বেশিদিন হয়নি। এর মধ্যে নতুন কমিটি শিল্পীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কাজ শুরু করেছে। করোনার কারণে শিল্পীদের দুঃসময় চলছে। সবকিছু মাথায় রেখেই ধাপে ধাপে শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় এ সংগঠনটি কাজ করে যাবে বলে আশা করছি।
ঈদ আয়োজন নিয়ে কিছু ভাবছেন?
ঈদের জন্য গত বৃহস্পতিবার 'আইলোরে প্রাণের সুজন' শিরোনামে নতুন গান করেছি। এনামুল কবির সুজনের কথা ও প্লাবনের সুরে লোকধাঁচের এই গানের সংগীতায়োজক কিশোর দাশ। করোনার কারণে বাসা থেকে বের হচ্ছি কম। যেজন্য নতুন গান ইদানীং কম প্রকাশ করছি। এখন গানের পাশাপাশি নিজের ফ্যাশন হাউস নিয়েও ব্যস্ত সময় কাটছে। | আঁখি আলমগীর | আঁখি আলমগীর | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/26/%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%ac-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%a3-%e0%a6%95/ | দ্বিতীয় দফায় ফিরবে করোনা সংক্রমণ | সম্প্রতি চীন, ইতালি, স্পেন ও আরও কয়েকটি দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। আমেরিকায় কমেছে মৃত্যুহার। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে দিয়ে বলল, তাতে নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয়বার ফিরে আসতে পারে ওই ভাইরাস। সুতরাং করোনা পরাজিত হয়েছে ভেবে কেউ যেন সতর্কতা শিথিল না করে। তা হলে পরে বিপদ হবে। সোমবার অনলাইনে সাংবাদিক বৈঠক করেন ডব্লিউএইচও-র আপদকালীন দপ্তরের প্রধান মাইক রায়ান। তিনি বলেন, অনেক দেশেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমছে। কিন্তু মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় বাড়ছে সেই রোগ। রায়ান ব্যাখ্যা করেন, মহামারী অনেক সময় আসে ঢেউয়ের মতো। তার অর্থ, যে সব জায়গায় করোনার প্রকোপ কমে গেছে, সেখানে নতুন করে ফিরে আসতে পারে। সুতরাং প্রথমবার সংক্রমণের সময় যে প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা শিথিল করা ঠিক নয়। তার কথায়, আমরা মহামারীর ক্ষেত্রে সেকেন্ড ওয়েভের কথা বলি। তার মানে যেখানে মহামারীর প্রকোপ কমেছে সেখানে কয়েক মাস পরে ফের শুরু হতে পারে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেকথা প্রযোজ্য। তিনি সতর্ক করে বলেন, যে কোনও সময় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবার হু হু করে বাড়তে পারে। কেউ যেন না ভাবে, আমরা যেহেতু একবার রোগটাকে পরাজিত করেছি, নতুন করে ফিরে আসতে তার কয়েক মাস লেগে যাবে।" ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলিকে ডব্লিউএইচও পরামর্শ দিয়েছে, মহামারীর সেকেন্ড ওয়েভ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। টেস্ট চালিয়ে যেতে হবে। রোগটি নতুন করে কোথাও ছড়াচ্ছে কিনা, সেদিকেও নজর দিতে হবে । | আমেরিকা,ইতালি,করোনা,চীন,স্পেন | ডব্লিউএইচও সতর্ক করে দিয়ে বলল, দ্বিতীয়বার ফিরে আসতে পারে করোনা ভাইরাস। | international |
https://samakal.com/whole-country/article/1610245326/স্কুলছাত্রী-হত্যায়-অভিযুক্ত-সেই-যুবকের-আত্মহত্যা | স্কুলছাত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সেই যুবকের আত্মহত্যা |
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের কুতুবদিয়া গ্রামে স্কুলছাত্রী মুন্নী হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি আরাফাত আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রতনপুর গ্রামে ফুপুর বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে স্কুলছাত্রী মুন্নি আক্তারের (১৩) ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে আরাফাতের বিরুদ্ধে। মুন্নির পরিবার বলছে, বখাটে আরাফাত রহমানের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া নয়াপাড়া এলাকার শহীদ মিয়ার মেয়ে মুন্নি চাপাইর বিবিএ উচ্চবিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। আরাফাত রহমান গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাপাইর বেপারীপাড়া এলাকার আতাউর সরকারের ছেলে। আরাফাত কালিয়াকৈর ইউনাইটেড স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে মুন্নির লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আরাফাতকে আসামি করে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। | কালিয়াকৈর,গাজীপুর | মুন্নি আক্তার | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2021/12/02/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%93-%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81-%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%be/ | করোনায় আরও তিন মৃত্যু, শনাক্ত ২৬১ | সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৮৬ জনে। নতুন করে আরও ২৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৭ জন। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ২১ হাজার ৫৭ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩১৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১ জন। এর আগে বুধবার (১ ডিসেম্বর) করোনায় দুইজন মারা যান। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হয় ২৮২ জনের দেহে। | করোনা,মৃত্যু,শনাক্ত | করোনা রোগী। | life-health |
https://www.ajkerpatrika.com/88958/%E0%A7%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A6%B0 | ২ দিনেও পরিচয় পাওয়া যায়নি সেই তরুণীর | দুই দিনেও পরিচয় পাওয়া যায়নি চট্টগ্রামের রাউজান থেকে উদ্ধার হওয়া সেই তরুণীর লাশের। তাই লাশ আঞ্জুমানে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন।জানতে চাইলে ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, 'তরুণীর লাশটি উদ্ধারের পর থেকে মর্গে রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন ও পরিচয় শনাক্তের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।'জানা গেছে, গত শনিবার রাউজান-নোয়াপাড়া সেকশন টু সড়কের পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন রঘুনন্দন চৌধুরী হাট এলাকা থেকে ওই তরুণীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।এর আগে ভোরে সড়কের পাশে ওই তরুণীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়। | চট্টগ্রাম বিভাগ,রাউজান,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,চট্টগ্রাম কক্সবাজার | ২ দিনেও পরিচয় পাওয়া যায়নি সেই তরুণীর | national |
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/12/14/721167 | পথে পথে 'লাল সবুজ'র ফেরিওয়ালা | বছর ঘুরে এসেছে বাঙালির মুক্তির মাস। দুইদিন পরেই দেশবাসী উদযাপন করবে ৫০তম বিজয় দিবস। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা নিয়ে নাটোর জেলার পথে-প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মৌসুমি ফেরিওয়ালারা। দিনটিকে আনন্দঘন করতে জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন তাদের কাজ। ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস এলেই লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে শহরের পথে-প্রান্তরে ঘোরেন তারা। এই ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাঁশের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, লাল-সবুজের মাথার কাগজের ক্যাপ, রাবার, হাতের ব্যাজ, বুকের ব্যাজ বিক্রি করছেন তারা। তিনি জানান, তার কাছে ১০ থেকে ৫০০ টাকা দামের পতাকা রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি পতাকা বিক্রি করেন। প্রতিদিন যে আয় হয়, খরচ বাদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।
পতাকার ফেরিওয়ালা ফরিদপুরের সদর উপজেলার আবদুল্লাহ সরদারের ছেলে কাউছার আলী (২৪) বলেন, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় আমরা পতাকা বিক্রি করে বেড়ায়। লাল-সবুজের পতাকা আমাদের অহংকার। আমি গর্বিত যে, আমি পতাকার ফেরিওয়ালা। লাল সবুজের আরেক তরুণ ফেরিওয়ালা নরসিংদীর ছেলে মিনার উদ্দিন। তিনি জানান, পতাকা কাঁধে নিয়ে বিক্রি করতে ভালোই লাগে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পতাকা কিনেন। আয়ও ভালো হয়। এই মাস শেষ হলেই আবার গ্রামে ফিরে যান। বিডি প্রতিদিন/এমআই | পথে, পথে, লাল, সবুজ, ফেরিওয়ালা | পথে পথে 'লাল সবুজ'র ফেরিওয়ালা। | national |
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/08/25/684046 | মুসলিম শাসকদের ভিলেন হিসেবে দেখানোটা খুব সহজ, দাবি পরিচালকের | মুঘলরা প্রায় ৩৩১ বছর ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেছেন। স্থাপত্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে তারা অবদান রেখেছেন। তবে বলিউডে মুঘল শাসকদের চিত্রায়ন বেশিরভাগ সময় নেতিবাচকরূপে করা হয়। বিষয়টি পছন্দ নয় বলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা কবীর খানের। তার বক্তব্য, 'দেশ গড়েছিল মুঘল শাসকরা, তারা ভিলেন নন।' সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে 'বজরঙ্গি ভাইজান', 'নিউ ইয়র্ক'-এর মতো ছবির পরিচালক জানিয়েছেন, সেই সকল ছবির প্রতি তার কোনও শ্রদ্ধা নেই যা মুঘল সম্রাটদের খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরে, কারণ 'প্রকৃত অর্থে ভারত গড়েছিলেন' মুঘলরাই। 'যোদ্ধা আকবর' ছবিতে দেখানো হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবরের চরিত্রটি বলিউড হাঙ্গামাকে তিনি বলেন, 'আমি সত্যি বলতে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এটা ভীষণরকমভাবে সমস্যাযুক্ত এবং অস্বস্তিকর। সেই অস্বস্তিরমূল কারণ হল সকলে প্রচলিত কথার উপর ভিত্তি করে সেই ছবি বানায়। একজন নির্মাতাইতিহাসনির্ভর ছবি করলে নিজে গবেষণাকরবেন, এবং সেই তথ্য-অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করেই ছবি তৈরি হবে। সেখানে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে, তবে যদি আপনি মুঘলদের ক্ষতিকারক হিসাবে তুলে ধরতে চান দয়া করে সেটা যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন। বুঝিয়ে দিন কেন তারা ভিলেন ছিলেন? বা আপনি কেন সেটা মনে করছেন। .. আমি সত্যি এর পিছনে ইতিহাস পড়ে কোনও যুক্তি খুঁজে পাই না। আমার তো মনে হয়, তাঁরা প্রকৃত অর্থে আমাদের দেশ গড়েছে। তাদের এক্কেবারে ছেঁটে ফেলা, এটা বলা তারা হত্যাকারী, সেটার পিছনের তথ্য-প্রমাণ কই? শুধু তুমি জনপ্রিয় হবে বলে ইতিহাসবিকৃত করা অনুচিত'। কবীর খানের কথায়, আজকের দিনে মুঘল এবং অন্য সকল মুসলিম শাসকদের খাটো করে দেখানোটা খুব সহজ কাজ। 'পদ্মাবত', 'পানিপথ', 'তানাজি'-র মতো বহু ছবিতে সাম্প্রতিক সময়ে মুঘল ও মুসলিম শাসকদের নেগেটিভভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি 'তানাজি' ছবির অভিনেতা সাইফ আলি খান নিজেও বলেছিলেন, 'ছবিতে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।' বিডি প্রতিদিন/ফারজানা | null | 'মুঘল ই আজম' তে পর্দায় আনা হয়েছিল আকবর ও জাহাঙ্গীরের চরিত্রকে | entertainment |
https://samakal.com/bangladesh/article/200523900/পরবর্তী-উদ্ধার-ত্রাণ-ও-চিকিৎসায়-নেমেছে-সশস্ত্র-বাহিনী | 'আম্পান' পরবর্তী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসায় নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী | সুপার সাইক্লোন 'আম্পান' পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দিক-নির্দেশনায় আগে থেকেই সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাগুলোতে বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করছে। এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীর ১৪৬টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল স্বল্প সময়ে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিক্যাল টিমও প্রস্তুত। ঘূর্ণিঝড় কবলিত বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত আছে ১২ হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজারও প্রস্তুত। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়। এতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ভোলা ও হাতিয়ায় দূর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর দু'টি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। অন্যদিকে খুলনা নৌঅঞ্চল থেকে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে সহায়তা জন্য ২২ সদস্যের একটি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি ডাইভিং টিম সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, একটি এমআই-১৭এসএইচ হেলিকপ্টার, একটি অগাস্টা-১১৯ হেলিকপ্টার এবং একটি বেল-২১২ হেলিকপ্টার ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, নোয়াখালী, ঝালকাঠী, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনে দ্রুততার সঙ্গে পাঠানো হয়। পরিদর্শন শেষে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বাস্তবচিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হয়। এছাড়াও বিমান বাহিনীর ১১৯ সদস্যের (চার কর্মকর্তা, ৮১ বিমানসেনা ও ৩৪ অসামরিক সদস্য) একটি টিম আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিমান বাহিনীর নিজস্ব পরিবহনে সাতক্ষীরায় গিয়েছে। | আম্পান,উদ্ধার তৎপরতা,সশস্ত্র বাহিনী | পটুয়াখালীতে 'আম্পান'-এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে সেনাবাহিনী। : আইএসপিআর | national |
https://www.ajkerpatrika.com/90597/%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B9-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%AE | মন্ত্রীর ভাইসহ দুজনের অব্যাহতি বহিষ্কার ৮ | লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুজ্জামান আহমেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মদাতি ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লবকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। সেই সঙ্গে ৮ নেতাকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান জানান, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদের স্ত্রী ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজেদা জামান, গোড়ল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, চলবলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি খবির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আলী প্রামাণিক এবং বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করায় কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক, কাকিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরাজুল ইসলাম, তুষভান্ডার ইউনিয়ন বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মশিউর রহমান বিপ্লব ও দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। | আওয়ামী লীগ,লালমনিরহাট,ইউপি,ইউপি নির্বাচন,ছাপা সংস্করণ,রংপুর সংস্করণ,রংপুর ৭ | মন্ত্রীর ভাইসহ দুজনের অব্যাহতি বহিষ্কার ৮ | national |
https://www.ajkerpatrika.com/11080/%E0%A6%A6%E0%A7%88%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%A3-%E0%A6%93-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE | দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে ইন্দোনেশিয়া | গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৭৯ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৬৬ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৩ হাজার ২৭৯ জনের।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২২ হাজার ৯৮৫ জন; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৬৩ হাজার কম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৬৫৫ জন; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ কম।পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ২৫ হাজার ১৩০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ জন।করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৫ জন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৬২ জন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯৯ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১২৯ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৯ জনের।করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪১১ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৫৩ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত ৩ কোটি ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৯৯৬ জন।এ ছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩৭, রাশিয়ায় ৬১ লাখ ২৬ হাজার ৫৪১, যুক্তরাজ্যে ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯১২, ইতালিতে ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৪১৫, তুরস্কে ৫৬ লাখ ১ হাজার ৬০৮, স্পেনে ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৪২৯, জার্মানিতে ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ২ ও মেক্সিকোতে ২৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ১ লাখ ১১ হাজার ৬২২, রাশিয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৪, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৫৮, ইতালিতে ১ লাখ ২৭ হাজার ৯৪৯, তুরস্কে ৫০ হাজার ৯৩৪, স্পেনে ৮১ হাজার ২২১, জার্মানিতে ৯২ হাজার ৩৭ ও মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩১৬ জন মারা গেছেন।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে 'বৈশ্বিক মহামারি' হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। | এশিয়া,করোনা,করোনাভাইরাস,মৃত্যু,ইন্দোনেশিয়া,শনাক্ত | বিশ্বে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে। | international |
https://www.ajkerpatrika.com/95611/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E2%80%98%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A7%80%E2%80%99-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A7%8C%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9D%E0%A6%BF%C2%A0 | দুই 'বিদ্রোহী' হলেন নৌকার মাঝি | দুজনেই নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন নৌকা ডুবোতে সক্ষম হন। নির্বাচিত হন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তবে অন্যজন হেরেছিলেন নৌকার কাছে। এবার এঁরা দুজনেই হয়েছেন নৌকার মাঝি। আগামী ৫ জানুয়ারির পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ তাঁদের দলীয় প্রার্থী করে মনোনয়ন দিয়েছে।তাঁরা হলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৪ নম্বর হামিরকুৎসা ইউপির আনোয়ার হোসেন এবং ১৫ নম্বর যোগীপাড়া ইউপির এম এফ মাজেদুল। আনোয়ার এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর মাজেদুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। এঁদের মধ্যে আনোয়ার হামিরকুৎসা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহারকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আনোয়ার হোসেন তখনো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এদিকে যোগীপাড়ায় দলীয় প্রার্থী মোস্তাফা কামাল প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ভোট করে পরাজিত হন উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এম এফ মাজেদুল। 'বিদ্রোহী' প্রার্থী হলেও আনোয়ার বা মাজেদুলকে বহিষ্কার করা হয়নি। উল্টো গত বছরের সম্মেলনে ভোট ছাড়াই আনোয়ারকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর যুবলীগ থেকে আওয়ামী লীগে এসেছেন মাজেদুল। এবার তাঁরা পেলেন নৌকার টিকিট।অবশ্য ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের জন্যও তাঁরা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তখন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুর মধ্যে তুমুল বিরোধ। ভোটে সাংসদের প্রভাব বিস্তার নিয়ে ইউনিয়নে ইউনিয়নে শুরু হয় সহিংসতা। ফলে নির্বাচন কমিশন বাগমারার ১৬ ইউনিয়নেরই ভোট স্থগিত করে দেয়।পরে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করলে হামিরকুৎসা ও যোগীপাড়ায় প্রার্থী বদল করে আওয়ামী লীগ। নৌকা পেয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সাফিনুর নাহার ও মোস্তফা কামাল প্রামাণিক। কিন্তু মাজেদুল ও আনোয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করেন। তখন সংসদ সদস্যের কথায় খোদ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাই নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেন বলে অভিযোগ আছে। এবারও সংসদ সদস্যের এ দুই অনুসারী মনোনয়ন পেলেন।মাজেদুল ও আনোয়ার বলেছেন, গতবার তাঁরা প্রথমে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ভোটগ্রহণের আগের দিন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। তাই পরে নৌকা না পেলেও তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তবে এ দুই বিদ্রোহীকে এবার মনোনয়ন দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা বলছেন, সংসদ সদস্য এনামুল হক প্রভাব খাটিয়ে শুধু তাঁর অনুসারীদের মনোনয়ন এনে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এনামুল হককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।এবারের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত ও গতবারের নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহারের নম্বরে শুক্রবার দুপুরে ফোন করা হলে তাঁর স্বামী আবদুল বারী ধরেন। তিনি জানান, সাফিনুর এখন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সামনে বসে বিদ্রোহীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বাগমারা উপজেলা পরিষদেরই চেয়ারম্যান। গতবারের দুই বিদ্রোহীকে এবার মনোনয়নের সুপারিশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।' অনিল কুমার সরকারই কথা বলার জন্য বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ারকে ফোনটি দেন। তিনি বলেন, 'ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা করে উপজেলা কমিটিতে দিয়েছে। উপজেলা কমিটি সেটা জেলায় দিয়েছে, জেলা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। তালিকায় চার-পাঁচজনের নাম ছিল। কেন্দ্র যাঁকে পছন্দ করেছে, তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ বিষয়ে আর কোনো কথা নেই।' | আওয়ামী লীগ,রাজশাহী বিভাগ,নির্বাচন,বাগমারা,ইউপি,ইউপি নির্বাচন,রাজশাহী | নৌকার মনোনয়ন পাওয়া আনোয়ার হোসেন (বামে) ও এমএফ মাজেদুল। | national |
https://samakal.com/entertainment/article/210253574/বিয়ে-করেও-অনেকে-ক্যারিয়ারের-জন্য-সিঙ্গেল-দাবি-করেন-ফারিয়া | 'বিয়ে করেও তারা ক্যারিয়ারের জন্য সিঙ্গেল দাবি করেন' | চার বছর প্রেমের পর অবশেষে প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সেরেছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী-মডেল ফারিয়া শাহরিন। গেলো শুক্রবার রাতে আংটি বদল করার খবর জানান তিনি। তার হবু বরের নাম মুনিম মাহফুজ রিয়ান। তিনি একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা। বাগদান পরবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম মুখ খুললেন ফারিয়া শাহরিন। এই মডেল অভিনেত্রী বলেন, 'এরকম অনেককেই চিনি যারা বিয়ে করেও ক্যারিয়ারের জন্য সিঙ্গেল হয়ে আছেন। কিন্তু আমার পক্ষে এতো লুকোচুরি করা সম্ভব না। লাইফ তো একটাই ভাই, আর বিয়ে এনগেজমেন্ট এসব অনেক পবিত্র জিনিস। লুকিয়ে চুলে পাক ধরা পর্যন্ত সিঙ্গেল থাকা সম্ভব না।' তিনি বলেন, 'ক্যারিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু ইচ্ছা ছিল ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে থাকবে তখনই করবো শুভ কাজটা, ক্যারিয়ার পড়ে যাওয়ার পর না। আমি কাপুরুষ নই, আমি সিংহী। অন্তরাকে যারা ভালোবেসেছিলেন, তার এনগেজমেন্ট দেখে কষ্ট পাচ্ছেন সেই অন্তরা বাস্তবজীবনে ফারিয়া আর ৮-১০ টা মেয়ের মতো না।' তিনি জানান, দুই পরিবারের সম্মতিতে বাগদানের আয়োজন করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষভাগে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তারা। ফারিয়া শাহরিনের চেয়ে তার 'অন্তরা' নামটা বেশি জনপ্রিয় এখন। কারণ, কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' নাটকে 'অন্তরা' চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন তিনি। 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' নাটকে তৃতীয় সিজন থেকে অভিনয় করছেন তিনি। তার আগে সবাই তাকে চিনতেন 'কথা দিলাম' ফারিয়া নামে। একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিয়ে এই পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে তার। ফারিয়া শাহরিন মালয়েশিয়া থেকে উচ্চতর পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন আগেই স্থায়ীভাবে দেশে ফিরেছেন। ফিরেই কাশ্মিরী প্রেমিকা নামের একটি নাটকে কাজ করে বেশ আলোচিত হন। এরপর পুরোদমে মিডিয়ায় কাজ করছেন। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ঘরবন্দী ছিলেন। করোনা শেষে ফের শুটিংয়ে ফিরেছেন। ব্যাচেলর পয়েন্টে নাটকের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন ফের। ২০০৭ সালে 'লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার' প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারিয়া শাহরিন। | ফারিয়া শাহরিন,বিয়ে,বিনোদন খবর | অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন | entertainment |
https://www.bhorerkagoj.com/2020/05/29/%e0%a6%93-%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%81-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be/ | ও খেতে শুরু করলে থামতেই চায় না | বিয়ে হয়েছে বছর হয়নি। লকডাউনের কারণে অনেক কিছুই হচ্ছে না। সৃজিতকে দাওয়াত করে আনাও হচ্ছে না বাংলাদেশে। ঈদ আর জামাইষষ্ঠী, সবই চলে যাচ্ছে। সৃজিত খাওয়ায় খুবই পটু। তাই মিথিলার মা সৃজিতকে খাওয়ানও বেশ। তবে সব পরিকল্পনা যেন নষ্ট করে দিল করোনা। এসব নিয়েই যেন একটু আক্ষেপ করে কথা বলছিলেন মিথিলা। প্ল্যান ছিল অনেক। হলো না কিছুই। আমি বাংলাদেশে আর সৃজিত ভারতে। মাঝখানে কাঁটা হয়ে রয়েছে লকডাউন। জন্মদিন, ইদ আর আজ জামাইষষ্ঠীদেখতে দেখতে পার হয়ে গেল সবই। সৃজিত আর আমার এ বছর প্রথম জামাইষষ্ঠী। কথা ছিল আফ্রিকা থেকে শুটিং সেরে বাংলাদেশ আসবে ও। আমার জন্মদিন, ইদ সব একসঙ্গে পালন করব সবাই মিলে। সে সব তো হয়ইনি। ভরসা ওই ভিডিও কল আর ফোন। আমাদের যদিও ওভাবে জামাইষষ্ঠী বলে কিছু নেই, তবে সৃজিত এই মুহূর্তে এখানে থাকলে ওকে আম্মুর হাতের শুঁটকি মাছের ভর্তা, ইলিশভাপা আর কষা মাংস খাওয়াতাম। খেতে খুব ভালোবাসে। আর তো তা হলো না। তাই ওকে বলেছি, "এক কাজ কর, ওখানকার কোনো খাবারের দোকান থেকে তোমার পছন্দমতো খাবার কিনে খেও। মনে করো জামাই ষষ্ঠীর খাবার খাচ্ছ।" তবে এটা ঠিক, ও আগে যতোবার এ দেশে এসেছে, জামাই আদর কিন্তু বেশ ভালভাবেই করা হয়েছে। বাহারি রান্নার পদ, ও যা যা ভালবাসে তাই রেঁধেছে আমার বাড়ির লোকেরা। আমার মায়ের হাতের রান্না আবার ওর বড়ই প্রিয়। এরকম বহু বার দেখেছি, ও খেতে শুরু করলে থামতেই চায় না। এমনিতেই আমাদের দাওয়াত মানেই দশ-পনেরো রকমের পদ হয়। কিন্তু সৃজিতকে কখনও খাওয়ার ব্যাপারে ক্লান্ত হতে দেখিনি। আমি বরং এখন বারণ করি, বলি একটু কম খাও। শরীরের দিকেও তো নজর রাখতে হবে। তবে আম্মুকে দেখেছি, ওকে খাইয়ে যা সুখ পায় তা যেন আর কিছুতে নেই। আমাদের প্রথম জামাইষষ্ঠী তোলা থাকল পরের বারের জন্য। | করোনাভাইরাস,মিথিলা,লকডাউন,সৃজিত | সৃজিত ও মিথিলা | entertainment |
https://www.bd-pratidin.com/sports/2021/08/08/678286 | বার্সেলোনায় মেসির শেষ সংবাদ সম্মেলন আজ
| আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি এবার প্যারিসের পথে পা বাড়াচ্ছেন কি না, তা জানা যাবে খুব শিগগির। তবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ক্লাবের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ চলছে মেসির প্রতিনিধিদের। গত বৃহস্পতিবার বার্সেলোনা থেকে মেসির বিদায়ের ঘোষণা আসার পরপরই মেসির ক্যাম্প থেকে পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর আগে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা জানিয়ে দেয় লিওনেল মেসির সঙ্গে তারা যে চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল সেটা চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই লিওনেল মেসি ফ্রি এজেন্ট, অর্থাৎ কোনো ক্লাবের সঙ্গেই আর চুক্তিবদ্ধ নন। শুক্রবার বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তা বলেন, লিওনেল মেসিকে এবার রাখা হলে ক্লাব অন্তত ৫০ বছরের ঝুঁকিতে পড়ে যেত। ঝুঁকি বলতে তিনি অর্থনৈতিক ঝুঁকির কথাই বলেছেন। লিওনেল মেসি বেতন কমিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করতে সম্মত হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া যায়, কিন্তু মেসিকে রাখতে বার্সেলোনাকে তাদের বেতন কাঠামোতে রদবদল আনতে হতো। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২ গোল করেন, ১০টি লা লিগা শিরোপা জেতেন, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জেতেন। এ ছাড়া ছয়বার ব্যালন ডি অরও পান তিনি। সূত্র : বিবিসি বাংলা বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ | বার্সেলোনা, মেসি, শেষ, সংবাদ, সম্মেলন, আজ | লিওনেল মেসি। | sports |
https://www.prothomalo.com/opinion/column/রাজাপক্ষের-ফিরে-আসায়-যত-শঙ্কা | রাজাপক্ষের ফিরে আসায় যত শঙ্কা | গোটা পক প্রণালি অঞ্চলের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ব্যবস্থার টেকটোনিক প্লেটে একটি পরিবর্তন ঘটে গেছে। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কায় আমরা সেই পরিবর্তন দেখলাম। প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা আচমকা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে তাঁর স্থলে মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে বসিয়ে দিয়েছেন এবং এই ক্ষমতা বদলের সর্বজনগ্রাহ্য সাংবিধানিক ব্যাখ্যাও নেই। ফলে এই বিতর্কিত ক্ষমতাবদলের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।মাত্র চার বছর আগেও শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ রাজাপক্ষেকে 'সাক্ষাৎ শয়তান' হিসেবে দেখত। তাঁর শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন সবার গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল। দুর্নীতি ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা এবং আধিপত্যবাদ ছিল সরকারের অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়। সেই জায়গা থেকে যে সিরিসেনা ২০১৫ সালে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়েছিলেন, সেই সিরিসেনাই আবার তাঁকে হৃত সাম্রাজ্য ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটা ঠিক যে রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা স্থায়ী মিত্র বলে কিছু নেই। স্থায়ী স্বার্থই রাজনীতির চূড়ান্ত কথা। তারপরও সিরিসেনার হাত ধরে রাজাপক্ষের এভাবে ফিরে আসাটা সবার সামনে অনেক দার্শনিক প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।গত দফায় ক্ষমতায় থাকার সময় রাজাপক্ষে শ্রীলঙ্কার একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে নিজেকে একরকম ঘোষণাই দিয়েছিলেন। তামিল জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক এমনকি অস্তিত্বগতভাবে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার সব উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বিরোধী কাউকে পাত্তা না দেওয়ার প্রবণতা তাঁর মধ্যে এতটাই জাঁকিয়ে বসেছিল যে তার জন্য তাঁকে খেসারত দিতে হয়েছিল। সব বিরোধী রাজনীতিক এক হয়ে ২০১৫ সালে তাঁকে ধরাশায়ী করে ফেলেছিলেন।রনিল বিক্রমাসিংহে তাঁর রাজনৈতিক অংশীদার সিরিসেনাকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। সাধারণ শ্রীলঙ্কানরা এই আশায় বুক বেঁধেছিল যে দেশটি এবার সংলাপ ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে এগোবে। কর্তৃত্ববাদ অপসৃত হবে। শুরুতে সে রকমভাবেই সব এগোচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ এই দৃশ্য বদল কেন? এটা ভাবার বিষয়।ভারতের মতো শ্রীলঙ্কায়ও জাত, পাত, লিঙ্গ, বর্ণ, ভাষা ইত্যাদির কারণে গোটা সমাজ নানা ভাগে বিভক্ত। ভারতীয়দের মতো শ্রীলঙ্কানরাও সব সময়ই দুর্নীতির বিরুদ্ধে চেঁচাতে ভালোবাসে। কিন্তু একের পর এক সরকার বদল হয়, দুর্নীতি কমে না। এর মূল কারণ হলো নিজের সমর্থিত দলের নেতাদের দুর্নীতি এখানকার সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে কম। প্রতিপক্ষের দুর্নীতিকেই অপরাধ মনে হয়।শ্রীলঙ্কা দীর্ঘদিন ধরে এমন এক সামন্ততান্ত্রিক অমাত্য গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থেকে এসেছে, যারা চিরকালই ক্ষমতার পাদপ্রদীপে থাকতে পছন্দ করে। রাজাপক্ষের দুঃশাসনকে এই গোষ্ঠী শুধু মেনে নেয়নি, বরং রাজাপক্ষের স্বৈরাচারী শাসনের প্রধান সুবিধাভোগী তারা। এই গোষ্ঠীগুলো মাঠপর্যায়ে রাজাপক্ষের বিরোধিতাকারীদের দমন করেছে। এখন রাজাপক্ষের ফিরে আসায় সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছে সেই সামন্ত শ্রেণি। রাজাপক্ষের রাজনীতির মূল অস্ত্রই হলো বিভাজন। সিংহলিদের মধ্যে প্রবল জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়ে সংখ্যালঘু তামিলদের কোণঠাসা করার পুরোনো নীতিকে তিনি এখনো আঁকড়ে ধরে আছেন। দেশটির অভিজাত শ্রেণি এই নীতিকে সহজে গ্রহণ করে। নিবর্তনমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে তারাই সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত থাকে। ফলে রাজাপক্ষে এই গোষ্ঠীর পূর্ণ সমর্থন পাবেন বলে ধরে নেওয়া যায়। আগামী জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত রাজাপক্ষে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলে তাঁর দল আবার শক্তি সঞ্চয় করে ফেলবে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ বিক্রমাসিংহের দলের নেতা-কর্মীদের তীব্রভাবে কোণঠাসা করা হবে। রাজাপক্ষে স্বাভাবিকভাবেই চাইবেন, বিক্রমাসিংহের দল যাতে নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে না পারে। ইতিমধ্যে সে ধরনের তৎপরতাও তিনি শুরু করে দিয়েছেন। তামিল নাগরিকদের মনে সেই পুরোনো আতঙ্ক আবার ফিরে এসেছে। রাজাপক্ষে নিজেও চাচ্ছেন বিরোধী শিবির আপাতত তাঁকে ভয়ের চোখেই দেখুক। তবে পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত তাঁর পক্ষে থাকবে কি না, বলা কঠিন। অভিজাত সম্প্রদায়ের বাইরে, সাধারণ ভোটারদের বড় অংশই এখনো বিক্রমাসিংহেকে দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছে। তারা রাজাপক্ষের ক্ষমতায় বসাকে 'জাতীয় অপমান' বলে মনে করছে। নির্বাচন পর্যন্ত এই ক্ষোভ রাজাপক্ষের পক্ষে দমন করে রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে। আর যদি ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হয় এবং রাজাপক্ষের দল জিতে যায়, তাহলে শ্রীলঙ্কাকে আরও একটি রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির মুখে পড়তে হতে পারে। ইংরেজি থেকে অনূদিত। ভারতের অনলাইন পত্রিকা স্ক্রল ডট ইন থেকে নেওয়া টি এম কৃষ্ণ ভারতের সাংবাদিক ও লেখক | আন্তর্জাতিক | মাহিন্দা রাজাপক্ষে | opinion |
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/07/20/550027 | করোনায় আক্রান্ত ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ | করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। বর্তমানে তিনি ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রবিবার রাতে গণমাধ্যমকেএ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন | null | সাইফুর রহমান সোহাগ | life-health |
https://www.ajkerpatrika.com/9310/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%80-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A7%A7%E0%A7%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8 | ভাঙ্গুড়ায় করোনা রোগী থাকা ১৬ বাড়ি লকডাউন | পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রতিদিনই করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। পৌরশহরের পাশাপাশি গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা মহামারি। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে রোগী আছে এমন ১৬টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।করোনায় আক্রান্তরা যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারে সে জন্য এ ১৬টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বাড়ির লোকজনকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। আক্রান্ত দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক লকডাউন ঘোষণা করা বাড়িগুলোতে পুলিশ লকডাউন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে। এ সময় বাড়ির সদস্যদেরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ায় বাড়িগুলো লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ যেন খাবারে কষ্ট না পায় সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রান্ত দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। | করোনাভাইরাস,পাবনা,লকডাউন,রাজশাহী বিভাগ,ভাঙ্গুড়া | এসব বাড়ির সদস্যদেরও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। | national |
https://samakal.com/bangladesh/article/210459083/হেফাজতের-সহকারী-মহাসচিব-জালাল-উদ্দিন-গ্রেপ্তার | হেফাজতের সহকারী মহাসচিব জালাল উদ্দিন গ্রেপ্তার | হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। শনিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জালাল উদ্দিন খেলাফতে মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব এবং সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের সহ-সাধারণ সম্পাদক। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, সাম্প্রতিক নাশকতা এবং হেফাজতের পুরনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের আরেক নেতা জুবায়ের আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। | জালাল উদ্দিন,ডিবি,ডিএমপি | জালাল উদ্দিন | national |
https://www.bhorerkagoj.com/2018/11/25/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%98/ | কুড়িগ্রামে দু'পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৮ | কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী অনন্তপুর গ্রামে ২১ শতক জমির মালিকানা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মাহফুজার রহমান বাদল (৪১), আব্দুস ছালাম (২৯), শাহিনুর রহমান (২৭), আব্দুল মতিন (৪৮), মতিয়ার রহমান (৪৪), আবুল হোসেন (৩৯), বাবু মিয়া (২৭) ও শাহানাজ বেগম (৩১)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনন্তপুর গ্রামের মৃত এনছার আলীর উত্তরসূরিরা আকিমুদ্দিন গংয়ের ২১ শতক জমি প্রায় ৪০ বছর আগে ক্রয় সূত্রে ভোগ দখল করে আসছিলেন। গত ৫ বছর আগে আকিমুদ্দিনের মৃত্যু হলে তার সন্তানরা জমিটি দখল করে নেন। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলাও রয়েছে। রোববার সকালে ওই জমিতে আবারও নতুন করে এনছার আলীর ছেলে মাহফুজার রহমান বাদল দখলের জন্য হালচাষ শুরু করলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হন। আহতদের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. এরশাদুল হক জানান, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আব্দুস ছালাম ও মতিয়ারের অবস্থা গুরুতর। ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজমুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখনো পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। | null | কুড়িগ্রাম | national |
https://www.ajkerpatrika.com/195359/%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%82-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0 | ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধের ক্ষোভেই বোমা হামলার পরিকল্পনা করেন হাই | উখিয়ায় ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষোভ থেকেই সারা দেশে বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতা আব্দুল হাই (৫৭)। সম্প্রতি কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা ও রমনার বটমূলে বোমা হামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এই জঙ্গি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকা আব্দুল হাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজি-বির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আশির দশকে ভারত-পাকিস্তানের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা আব্দুল হাই আফগানিস্তানে মুজাহিদ হিসেবে যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে প্রতিষ্ঠা করেন হুজি-বি এবং ১৯৯২ সালে কক্সবাজারের উখিয়ায় ট্রেনিং ক্যাম্প চালু করেন, যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশের এক জঙ্গি নেতা তাঁকে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। প্রায় চার বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে এই কার্যক্রম চালিয়ে আসার পর ১৯৯৬ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই ট্রেনিং ক্যাম্প থেকে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় সেই ক্যাম্প।র্যাব আরও জানিয়েছে, উখিয়ার ট্রেনিং ক্যাম্প বন্ধ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আব্দুল হাই। এরপর একে একে ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিলেন তিনি।র্যাবের ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পলাতক জঙ্গি নেতাদের বিষয়ে নজরদারির ধারাবাহিকতায় অবশেষে গত ২৫ মে রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি মামলায় সাতটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, যার মধ্যে দুটি মৃত্যুদণ্ড ও দুটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন বলেন, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটালীপাড়ায় জনসভার অদূরে জঙ্গি মুফতি আব্দুল হাইসহ তাঁর সঙ্গী জঙ্গি সদস্যরা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখেন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট মুফতি আব্দুল হাইসহ ১০ জন মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।২০০১ সালে ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং আরও অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আব্দুল হাইসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং তিন শতাধিক গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আব্দুল হাইসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। গ্রেপ্তার মুফতি আব্দুল হাই ওই গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।এ ছাড়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজনকে হত্যা করে এবং শতাধিক লোককে আহত করে। এ ঘটনায় মামলায় আব্দুল হাই চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি এবং তার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিভিন্ন জঙ্গিবাদী ঘটনার সঙ্গে হুজি-বির জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ২০০৬ সালের পর মুফতি আব্দুল হাই আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর পরিবার তখনো নারায়ণগঞ্জেই বসবাস করতেন, কিন্তু তিনি কুমিল্লার গৌরীপুরে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় আত্মগোপন করেন। | র্যাব,ঢাকা বিভাগ,গ্রেপ্তার,জঙ্গি,জঙ্গি সংগঠন,বোমা ,ঢাকা,রমনা | হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের গ্রেপ্তারকৃত নেতা আব্দুল হাই। | national |
https://www.prothomalo.com/politics/জিয়ার-আমলের-ফাঁসির-তদন্ত-কমিশন-গঠন-করুন | জিয়ার আমলের ফাঁসির তদন্ত কমিশন গঠন করুন | জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক ট্রাইব্যুনালে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফাঁসি দেওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি করেছেন জাসদের সাংসদ হাসানুল হক ইনু। মঙ্গলবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এই দাবি করেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, 'কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা ছাড়াও জিয়ার সময়ে আরও অনেক হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সেহেতু একটি কমিশন করে এর তদন্ত করা উচিত। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ৭৭ সালের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কমিশন গঠন করুন। শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কারণ, বিষয়টি দেশবাসীর জানা উচিত।' ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে ইনু বলেন, 'সেই মিথ্যা মামলায় আমিসহ অনেক রাজনৈতিক নেতা ও সামরিক কর্মকর্তা সাজাপ্রাপ্ত হন। আমাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও শেখ জাকির হোসেন ২০১১ সালের ২২ মার্চ একটি রায় দেন। রায়ের দুটি বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ওই রায়ে বলা হয়েছে-'৭৬ সালের সামরিক ট্রাইব্যুনাল অবৈধ। বিচার ও দণ্ড প্রদান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাহেরের ফাঁসি অবশ্যই বিচারবহির্ভূত খুন ও নিন্দনীয়। রায়ে তাহেরকে "শহীদ" হিসেবে গণ্য করে তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দানের নির্দেশ দেওয়া হয়। যাঁরা চাকরিতে ছিলেন তাঁদের স্বাভাবিক অবসরের দিন পর্যন্ত ওই পদে আছেন বলে গণ্য করে তাঁদের সব বকেয়া বেতন, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধার রায় দেওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নির্দেশ এখনো কার্যকর হয়নি। এটা কার্যকর করার জন্য আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।' ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, 'আদালতের নির্দেশের পর আপনাদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে কোনো আবেদন এসেছিল কি না? না এসে থাকলে সরকারের পক্ষে আমলে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে এখনো সময় আছে। কিন্তু পয়েন্ট অব অর্ডারের ভিত্তিতে এ বিষয়টি আমলে নেওয়ার সুযোগ সংসদের নেই। বিষয়টি আপনাদের আইনগতভাবেই নিষ্পত্তি করতে হবে।' 'সাহেব' শব্দে হারুনের আপত্তি বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদকে 'সাহেব' বলে সম্বোধন করায় তিনি আপত্তি তুলেছেন। মঙ্গলবার এ বিষয়ে তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময়ে স্পিকারের আসনে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুনুর রশীদ সংসদের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ডেপুটি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, 'সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ৩০৭ ধারা অনুযায়ী সংসদে কারও বিরুদ্ধে অমর্যাদাকর বা সম্মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া যাবে না। দেওয়া হলে সেটা এক্সপাঞ্জ হবে। আমি একজন সাংসদকে "ভাই" বলে সম্বোধন করায় স্পিকার বলেছেন "ভাই" বলা যাবে না। "মাননীয় সংসদ সদস্য" বলতে হবে। সেটা এক্সপাঞ্জ হয়েছে। কিন্তু লক্ষ করেছি, কোনো কোনো সদস্য আমাকে "মাননীয় সংসদ সদস্য" না বলে "হারুন সাহেব" বলে থাকেন।' ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে হারুন বলেন, 'আপনি দয়া করে এই শব্দ এক্সপাঞ্জ করবেন।' এ সময় হারুন আরও বলেন, 'এই সংসদে অনেক সময়ে অন্যদের সম্মান হানি করে বক্তব্য দেওয়া হয়। যেমন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানকে "খুনি" বলা হয়। অথচ তিনি "খুনি" নন। খালেদা জিয়াকে "অর্থ আত্মসাৎকারী" আর তারেক রহমানকে "খুনি" বলে অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। আপনি এসব শব্দ এক্সপাঞ্জ করবেন।' এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হট্টগোল শুরু করলে হারুনুর রশীদের মাইক থামিয়ে দিয়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, 'আপনি একটু আগে শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলেছেন। এখন আপনি নিজের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।' | জাতীয় সংসদ,বিএনপি,রাজনীতি,ঢাকা,ঢাকা বিভাগ | হাসানুল হক ইনু । ফাইল ছবি | politics |
https://www.ajkerpatrika.com/93132/%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF | এমপিদের অবসর ভাতার দাবি | সংসদ সদস্যদের জন্য অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।তিনি বলেছেন, 'আমাদের অনেক সংসদ সদস্য আছেন, ১৫-২০-২৫ বছর আছেন। তাঁরা সৎভাবে কাজ করেন। প্রশাসনের বা অনেক জায়গায় অবসরের পর আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। অনেক দেশে এমপিদের অবসর সহায়তা দেওয়া হয়। আমাদের দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা করার দাবি করছি। তাহলে যারা সৎ ভাবে কাজ করতে চান, তাঁরা মানবেতর জীবনে পড়বেন না।'আজ রোববার জাতীয় সংসদের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, 'ভিআইপি লাউঞ্জ অবসরের পর কর্মকর্তরা ব্যবহার করেন। এমপিরা পারেন না। সচিবদের দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের দেওয়া হচ্ছে। আর্মিদের দেওয়া হচ্ছে। এমপিরা পান না। স্থানীয় সরকারে যারা আছেন, তাঁদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নথি চুরি হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে জিএম কাদের বলেন, 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম নিয়ে অনেক দিন ধরে কথা বলছি। দুর্নীত দূর হয়েছে-এমন মনে হচ্ছে না। সম্প্রতি কোনাকাটা সংক্রান্ত ১৭টি নথি গায়েব হয়ে গেল। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেওয়া হলো, ফাইল ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। যেখানে দুর্নীতি হয় সেখানে ফাইল গায়েব করে দিলে আর সাজা হয় না। ফাইল গায়েবে বোঝা যাচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে।' | জাতীয় পার্টি,জাতীয় সংসদ | জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। | national |
https://www.ajkerpatrika.com/132151/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A6%AE-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE | অনিন্দ্যসুন্দর হজম টিলা | চা নিয়ে কবিতা লিখেছেন এক চীনা কবি। কবি লোটাংয়ের সেই লেখা বাংলা করলে দাঁড়ায়, 'প্রথম কাপ আমার ঠোঁট ও গলা ভেজায়, দ্বিতীয় কাপ আমার একাকিত্ব দূর করে, তৃতীয় কাপ নীরস অস্ত্রের খোঁজ করে।' চা পানের এমন অনুভূতি কমবেশি আমাদের সবারই জানা। কিন্তু যে বাগানে এই চা উৎপাদিত হয়, সেখানে অন্তত একবার না গেলে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিতই থাকবেন। তেমনই এক চা-বাগান শ্রীমঙ্গলের বিদ্যাবিল। যেখানে রয়েছে দেশের অনিন্দ্যসুন্দর জায়গা হজম টিলা।শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গা ঘেঁষে বিদ্যাবিলের অবস্থান। যেখানে রয়েছে ছবির মতো চা-বাগান, আছে পাহাড়ি ছড়া আর লেবুবাগান। চা-বাগানের আঁকাবাঁকা পথ, ঢেউখেলানো সমান্তরাল রাস্তা নিমেষেই যে কারও বিষণ্ন মনে স্বর্গীয় সুখ এনে দিতে পারে।সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যাবিলের এক পাশে রয়েছে সবুজ বনাঞ্চল। যেখানে যুগ যুগ ধরে বাস করে আসছেন খাসিয়ারা। আর এসব সৌন্দর্য এক জায়গা থেকে উপলব্ধি করতে হলে যেতে হবে বিদ্যাবিলের পূর্ব সীমান্তের সবচেয়ে উঁচু টিলায়। স্থানীয় লোকজন এই টিলার নাম দিয়েছেন হজম টিলা। তাঁরা জানান, এই টিলাটি এত ওপরে যে এখানে ওঠা বেশ কষ্টসাধ্য। প্রায় দুই-আড়াই কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা ঘুরে সেখানে উঠতে হয়। দুপুরবেলা খেয়ে যদি কেউ এই টিলায় ওঠেন তাহলে তাঁর আবার খেতে ইচ্ছা হয়। অর্থাৎ খাবার হজম হয়ে যায়। যে কারণেই হজম টিলা হিসেবে এটা বেশি পরিচিতি পেয়েছে।নিচ থেকে হজম টিলায় পায়ে হেঁটে উঠলে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগবে। মোটরসাইকেল বা গাড়ি নিয়ে উঠলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগে। হজম টিলার আশপাশের সব টিলায় চা-বাগান সম্প্রসারিত হয়েছে। এটি চা-বাগানের জমি হলেও হজম টিলাতে এখনো চা-গাছ রোপণ করা সম্ভব হয়নি। এ জায়গায় ওঠার পর যে কারোরই মনে হবে, তিনি যেন সবুজ বৃত্তের মধ্যে প্রবেশ করেছেন। হজম টিলা থেকে সকালের সূর্যোদয় এবং বিকেলের সূর্যাস্তের দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর।শ্রীমঙ্গল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমন্বয়ক তাজুল ইসলাম জাবেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'হজম টিলা শ্রীমঙ্গলের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় হবে বলে আমাদের ধারণা। তা ছাড়া, এর সৌন্দর্য পর্যটকদের মনের খোরাক জোগাতে সক্ষম। এখানে প্রতিবছর দেশের নানা জায়গা থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসে।'দর্শনার্থী অধ্যাপক রজত শুভ্র চক্রবর্তী বলেন, 'হজম টিলার ওপর থেকে নিচের দিকে এক রকম সৌন্দর্য। আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে তাকালেও অন্য রকম এক অনুভূতি আসে। আর এই টিলায় যাওয়ার পথটিও অন্য টিলার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন রকম।'স্থানীয় আদিবাসী নেতা ফেলিক্স আশাক্রা জানান, একসময় এই এলাকাটি জঙ্গলে আবৃত ছিল। প্রচুর পরিমাণে বন্য প্রাণীও ছিল। এখন বন নাই বললেই চলে। চা-বাগানের কারণে লোকজনের যাতায়াতে বন্য প্রাণীরা এখান থেকে সরে গেছে। তিনি বলেন, 'বাগানের মানুষ হজম টিলায় সব সময় যেতে সাহস করে না। কারণ, এটি অনেক উঁচুতে। তবে বাগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে টিলায় উঠতে পারেন পর্যটকেরা।' | মৌলভীবাজার,সিলেট বিভাগ,প্রকৃতি,শ্রীমঙ্গল,ছাপা সংস্করণ,শেষ পাতা | শ্রীমঙ্গলের বিদ্যাবিলে অনিন্দ্যসুন্দর হজম টিলা। | national |
https://www.dailynayadiganta.com/africa/348104/নাইজেরিয়ায়-গ্যাস-ট্যাংকার-বিস্ফোরণে-নিহত-৩৫ | নাইজেরিয়ায় গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৩৫ | নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় নাসারাওয়া প্রদেশে একটি গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রদেশটির জরুরি সংস্থা জানিয়েছে, সোমবারের ওই ঘটনায় আরো শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (সেমা)-র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানী আবুজা ও উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় নাইজেরিয়াকে সংযোগ স্থাপনকারী লাফিয়া-মাকুর্দি সড়কের একটি পেট্রোল স্টেশনে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সেমা'র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক উসমান আহমেদ বলেছেন, গ্যাস ডিসচার্জ করার এক পর্যায়ে ট্রাকটি বিস্ফোরিত হয়। তিনি বলেন, সেমা এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে। সেমা'র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, আমরা ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পেরেছি। এছাড়া আরো শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। উসমান বলেন, ওই গ্যাস স্টেশনে কী ঘটেছে সেটি দেখতে সেখানে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ হতাহত হয়েছেন। নাইজেরিয়ায় এ ধরনের ঘটনা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। এর আগে গেল জুনে নাইজেরিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসে একটি পেট্রোল ট্যাংকারে আগুন ধরে গেলে কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়। ওইসময় আরো ৫৩টি গাড়িও পুড়ে গিয়েছিল। | null | নাইজেরিয়ায় গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৩৫ | international |
https://www.ajkerpatrika.com/168966/%E0%A6%9A%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE | চরফ্যাশনে নাগালের বাইরে সবজির দাম | রমজান শুরুর দিন থেকেই ভোলার চরফ্যাশনে সব সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাবসায়ীদের দাবি, সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি। এ ছাড়া পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামে প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি তাঁদের।ঠিক ভিন্ন চিত্র চাষিদের ক্ষেত্রে। ব্যবসায়ীরা চড়া দামে সবজি বিক্রি করলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষক। যে দামে সবজি বিক্রি করছেন, তাতে উৎপাদন খরচ না ওঠার আশঙ্কা তাঁদের।এদিকে রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তাঁদের অভিযোগ, অতি মুনাফার আশায় রোজার শুরুতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার অজুহাত খাড়া করেন ব্যবসায়ীরা।যদিও প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোজায় নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজারে গেলে দেখা যায় উল্টো চিত্র। বাড়তি দামের ব্যাপারে কোনো তদারকি নেই বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।গতকাল মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। গোল বেগুন ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি প্রতি ৪৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪৫ টাকা ও লেবুর হালি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, 'রোজার আগে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্যান চালাতাম। রোজা রেখে এখন আর পারি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্যান চালাই। এ কারণে আয়-রোজগার কম হয়। রোজা এলেই সবজির দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। ৩০ টাকার এক কেজি মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা দিয়ে কিনছি। সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মতো গরিব মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে?'দিনমজুর মো. ইদ্রিস, আবদুল হাই ও আজিজুল হক জানান, 'বাজারে আসলাম সবজি কিনতে। কিন্তু গত সপ্তাহে যে দামে কিনেছি, আজ তার দাম প্রায় দ্বিগুণ। এত বেশি দামে সবজি কেনার সামর্থ্য আমাদের মতো মানুষের নাই। সরকার বাজার তদারকিও করছে না। ফলে বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছি।'কাঁচা সবজির আড়তদার কাইয়ুম বাণিজ্যালয়ের মালিক আবদুল কাইয়ুম মিয়াজি বলেন, 'পাইকারি প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। একই অবস্থা বেগুনের বেলায়ও। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। কাঁচা মরিচের মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। সবজির সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা দাম বেড়েছে।'চরফ্যাশন কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জামাল বলেন, '৪-৫ ধরনের সবজির সরবরাহ কম থাকায় এ অঞ্চলে দাম একটু বেশি। তা ছাড়া মোকাম থেকে সবজি আনতেও খরচ বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে সবজির দাম কমে যাবে। তবে চরফ্যাশন উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হওয়ায় অন্য জেলার তুলনায় এখানে দাম কম।'তবে ভিন্ন চিত্র চাষিদের ক্ষেত্রে। ভালো দাম না পাওয়ায় লোকসানের শঙ্কা তাঁদের।আসলামপুর এলাকার সবজিচাষি ইব্রাহিম বলেন, 'অন্যের জমি বর্গা নিয়া তিন একর জমিতে শসা, টমেটো, করলা চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পাইকারদের কাছে গত সপ্তাহে শসা প্রতি কেজি ২০ টাকা, করলা ২৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে খরার কারণে টমেটো গাছ প্রায় মরে গেছে। এত কম দামে সবজি বিক্রি হলে খরচ ওঠানো দায় হয়ে যাবে।'চর মাদ্রাজ এলাকার সবজিচাষি জহির উদ্দিন বলেন, 'আড়ত থেকে দাদন নিয়ে চার একর জমিতে করলা, শসা, বেগুন ও টমেটো চাষ করেছি। এতে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। টমেটোর মৌসুম শেষের দিকে হলেও করলা, শসা ও বেগুনের আশানুরূপ দাম পাচ্ছি না। খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হবে। অথচ আমাদের থেকে পাইকারেরা কম দামে সবজি কিনে দ্বিগুণ দামে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন।'এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আবদুল্লাহ বলেন, 'কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে কাঁচা সবজির দাম বাড়ায় সাধারণ ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন। বাজার তদারকি চলমান রয়েছে। তবে কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' | ভোলা,বরিশাল বিভাগ,চরফ্যাশন,দাম,বরিশাল,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,সবজি,বরিশাল ৬ | চরফ্যাশনে নাগালের বাইরে সবজির দাম | national |
https://www.ajkerpatrika.com/185034/%E0%A6%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A7%9C-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87 | ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর ভিড় পাহাড়পুরে | ঈদের চার দিনে বিশ্ব ঐতিহ্য দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নওগাঁর বদলগাছির পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে (সোমপুর বিহার) প্রায় দেড় লক্ষাধিক পর্যটকেরা ভ্রমণ করেছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকট কেটে প্রায় দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও নতুন করে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ।ঈদের চার দিনে পাহাড়পুর বাজার হতে বৌদ্ধ বিহার ও জামালগঞ্জ বাজার হতে বিহার পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তায় দর্শনার্থীদের ভিড়ে যানজট লেগেই ছিল। যা ইতিহাসে প্রথম। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ দেশের বিশিষ্টজনেরা এই ঈদে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ভ্রমণ করেছেন। এ ছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চালু হওয়া টুরিস্ট বাস 'ভ্রমণ বিলাস' নওগাঁর ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের মাঝে এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিহার এই পাহাড়পুর। আদি নাম সোমপুর বিহার। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত এই বিহারকে ১৯৮৫ সালে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। পাল রাজাদের শাসনামলে এটি ছিল রাজধানী শহর। এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল। নওগাঁ শহর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের দূরত্ব প্রায় ৩৪ কিলোমিটার। সারা বছরই এখানে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। তবে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর প্রায় দেড় লক্ষাধিক দর্শনার্থী পাহাড়পুরে এসেছেন। সংস্থারের ফলে আধুনিকায়ন হওয়ায় পাহাড়পুরের পরিবেশ নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দর্শনার্থীরা। শনিবার সরকারি ছুটির দিন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের আগমন বেশি হবে বলে আশা করছেন বিহারের কর্তৃপক্ষ।গত শুক্রবার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. আইটিও নাওকি। বিহারটির ছোট ছোট স্থাপনা, বৌদ্ধ ভিক্ষুক কক্ষ ও টেরাকোটা সহ সার্বিক ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা নেন তিনি। সে সময় রাষ্ট্রদূতকে এসব স্থাপনা ঘুরে দেখান বিহারের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু ও সঙ্গে ছিলেন বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুল ইসলাম।জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে বিশ্বের বিস্ময় উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, 'এখানে দেখার ও জানার অনেক কিছু আছে।' এ সময় তিনি এটি পরিদর্শনের জন্য জাপানসহ বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানান।পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু বলেন, 'পাহাড়পুরের ইতিহাসে এত রেকর্ড পরিমাণ দর্শনার্থী কখনোই হয়নি। আমরা সীমিত লোকজন নিয়ে আগত দর্শনার্থীদের মানসম্মত সেবা প্রদানের চেষ্টা করে চলেছি। এত দর্শনার্থী সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বিহারের প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করছে। আমি আশাবাদী আগামী শনিবার পর্যন্ত দর্শকদের উপস্থিতি একই রকম থাকবে।' | ভ্রমণ,নওগাঁ,রাজশাহী বিভাগ,বদলগাছী | ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীর ভিড় পাহাড়পুরে | national |
https://www.dailynayadiganta.com/politics/402532/নারী-নির্যাতন-মহামারী-আকার-ধারণ-করেছে-রিজভী | নারী নির্যাতন মহামারী আকার ধারণ করেছে : রিজভী | বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমানে আইনের শাসন নেই বলেই দেশব্যাপী এক ভয়ঙ্কর অরাজক পরিস্থিতি বিদ্যমান। প্রতিদিন নানা দূর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির এক পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ হুমায়ুন ইসলাম খান। সভায় নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বর্তমানে আইনের শাসন নেই বলেই দেশব্যাপী এক ভয়ঙ্কর অরাজক পরিস্থিতি বিদ্যমান। প্রতিদিন নানা দূর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার অভাব এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রটি বর্তমানে এক জুলুমের নগরীতে পরিণত হয়েছে। মানবতা ও মানবিক মূল্যবোধের অভাবে এবং সরকার নিজ স্বার্থে রাষ্ট্রযন্ত্রকে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে দেশের মানুষ সর্বদা এক অজানা আশঙ্কায় আতঙ্কিত জীবন অতিবাহিত করছে। দেশের মানুষ এখন পুরোপুরি নিরাপত্তাহীন। তিনি বলেন, সারাদেশ যেন এক মৃত্যু উপত্যকায় রুপান্তরিত হয়েছে। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের নিষ্ঠুর শাসন থেকে মুক্তি পেতে জনগণকে সাথে নিয়ে আগামীতে বিএনপি ঘোষিত সকল আন্দোলন-সংগ্রামে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের নেতাকর্মীরাও বীরদর্পে লড়াই চালিয়ে যেতে পিছপা হবে না। নবগঠিত তাঁতী দলের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, আমি আশা করি তাঁতী দলের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ সংগঠনটিকে গতিশীল ও সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। এছাড়া মিডনাইট স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের কবল থেকে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়সহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সম্পূর্ণ নির্দোষ বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সকল আন্দোলন সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি। | null | নারী নির্যাতন মহামারী আকার ধারণ করেছে রিজভী | politics |