news_link
stringlengths
42
523
head_lines
stringlengths
2
121
article
stringlengths
1
58.1k
tags
stringlengths
1
285
image_caption
stringlengths
1
1.86k
category
stringclasses
13 values
https://www.bd-pratidin.com/country/2018/08/27/355694
৪ মাস ধরে হাসপাতালে বৃদ্ধা, মিলছেনা স্বজনের খোঁজ
আমার নাম ডালিম। বাবার নাম মোহন। আমরা ৯ ভাইবোন। আমার বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায়। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের নিচতলার অর্থোপেডিক বিভাগের ২ নাম্বার বেডে প্রায় চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন ষাটর্দ্ধো বয়সী এক বৃদ্ধা রোগী এভাবেই তার পরিচয় তুলে ধরেন। সোমবার দুপুরে এই হাসপাতালের বেডে বসে এই কথাগুলোই বারবার বলছিলেন ডালিম পরিচয় দেওয়া সেই রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর দেয়া ঠিকানায় তার স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে যেয়ে সেখানে কারও সন্ধান পায়নি। ফলে তাকে হাসপাতালে রেখে তার সেবা দিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তার সঠিক পরিচয় না মেলায় কর্তৃপক্ষ পড়েছে বিপাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই নারীকে কিভাবে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিবে তা নিয়ে পড়েছে দুশ্চিন্তায়। তিনি আরও বলেন, প্রথম থেকেই তিনি তার বাড়িঘর কোথায় ঠিকমত বলতে পারছেন না। তিনি যে ঠিকানা বলেছেন সেই অনুয়ায়ি আমরা তাকে এ্যাম্বুলেন্সে করে কচুয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় সারাদিন ঘুরে তার কোন স্বজনের সন্ধান পাইনি। সেই নারীর বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় স্মরণশক্তি কমে গেছে এবং মানসিক সমস্যার কারনে তার ঠিকানা ঠিকমত বলতে পারছেন না বলে আমার ধারনা। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মশিউর রহমান বলেন, প্রায় চার মাস ধরে ওই বৃদ্ধা আমাদের এখানে ভর্তি আছেন। ভর্তির পর থেকে আমাদের স্টাফরা তাকে খাবার খাইয়ে দেওয়াসহ সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাকে সুচিকিৎসা দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য করে তুলেছি। এই চার মাসে কেউ তার খোঁজখবর নিতে আসেনি। তার পরিবারের সদস্যরা কি তাকে বোঝা মনে করে ফিরিয়ে নিতে চাইছে তাও হতে পারে বলে ধারনা করছি। তিনি আরও জানান, আমরা তার স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে নানা চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখনো কাউকে পাইনি। এভাবে তাকে আর কতদিন এখানে রাখতে পারব তা বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা আরও কিছুদিন দেখব। যদি তার স্বজনদের না পাই তাহলে পরবর্তি করণীয় নিয়ে ভাবতে হবে। বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর
null
ষাটর্দ্ধো বয়সী সেই বৃদ্ধা
national
https://www.prothomalo.com/bangladesh/অ্যাসিড-ছোড়ায়-এক-ব্যক্তির-যাবজ্জীবন
অ্যাসিড ছোড়ায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
অ্যাসিড ছুড়ে মারার দায়ে সুমিত ধর নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই ঘটনায় সুমিতের স্ত্রী মমিতা দত্তকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। রোববার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞা এ রায় দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামি সুমিত ধর জামিনে গিয়ে পলাতক। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নগরের রহমতগঞ্জ এলাকায় একটি স্কুলের সামনে তমাল চন্দ্রকে (৩০) অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্ধ হয়ে যান তিনি। ওই ঘটনায় তমালের বাবা বাবুল দে বাদী হয়ে ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ সুমিত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত রোববার এ রায় দেন। মামলার এজাহার ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মমিতা ও ভুক্তভোগী তমাল দূর সম্পর্কের আত্মীয় ছিলেন। কিন্তু মমিতার বিয়ের পরে তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। মমিতার স্বামী সুমিত শায়েস্তা করতে তমালকে অ্যাসিড ছোড়েন। এতে গুরুতর দগ্ধ হন তমাল।
চট্টগ্রাম,চট্টগ্রাম বিভাগ,আইন ও বিচার
চট্টগ্রাম আদালত ভবন
national
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2022/03/17/750689
ঐশ্বরিয়াকে একা পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন হলিউডের সেই খ্যাতনামী পরিচালক
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ও বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। 'মি টু' নিয়ে যখন লাজ-লজ্জা দূরে ঠেলে হলিউড-বলিউড সরব, তখন আন্দোলনকারীদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। যদিও নিজের কোনও খারাপ অভিজ্ঞতার কথা এখনও প্রকাশ্যে আনেননি অমিতাভ বচ্চনের ছেলের বউ। অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হয়তো তেমন কোনও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হননি। একদিকে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব, অন্যদিকে তারকাদের সঙ্গে সম্পর্ক, তারপর বচ্চন পরিবারের একজন হয়ে ওঠা ঐশ্বরিয়াকে হয়তো কুপ্রস্তাব দেওয়া তত সহজ ছিল না। ঐশ্বরিয়ার ওই ম্যানেজারের নাম সিমন শেফিল্ডস। আন্তর্জাতিক সিনেমায় ঐশ্বরিয়ার যাবতীয় কাজের দেখাশোনা করতেন সিমন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, ঐশ্বরিয়ার জন্য এক সময় মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন হলিউডের পরিচালক হার্ভে উইনস্টেইন। এ ব্যাপারে সরাসরি প্রস্তাবও রেখেছিলেন সিমনের কাছে। হার্ভে হলেন সেই খ্যাতনামী পরিচালক, যাকে ঘিরেই হলিউডের 'মি টু' আন্দোলনের সূত্রপাত। হলিউডের প্রথম সারির সব অভিনেত্রী এক যোগে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন হার্ভের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, গিনেথ প্যালট্রো, জেনিফার লরেন্সের মতো অভিনেত্রী। বস্তুত, তারপর থেকে হার্ভেকে হলিউডের 'সেক্সুয়াল প্রিডেটর' বা যৌন হেনস্থাকারী বা যৌন শিকারি তকমাও দেওয়া হয়। সেই হার্ভের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার দেখা হয়েছিল কীভাবে? কবে? সিমন জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে যান ঐশ্বরিয়া। তখন তিনি বিবাহিতা। সঙ্গে ছিলেন স্বামী অভিষেক বচ্চনও। বিদেশে তখন বেশ কিছু কাজের প্রস্তাবও আসতে শুরু করেছিল ঐশ্বরিয়ার কাছে। মাঝে মধ্যেই কাজের প্রয়োজনে হলিউডের 'সদর শহর' লস অ্যাঞ্জেলেসে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই বেশ কয়েকবার ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন হার্ভে। ম্যানেজার হিসেবে ওই সব বৈঠকে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গেই থাকতেন সিমন। তিনি জানিয়েছেন, বহুবার হার্ভে তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সিমন ইচ্ছে করেই সেই সব ইঙ্গিত বুঝতে চাননি। একবার তেমনই একটি বৈঠকে ঐশ্বরিয়ার চোখের আড়ালে সিমনকে একা পেয়ে চেপে ধরেন হার্ভে। সিমন জানিয়েছেন, হার্ভে তাকে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, ঐশ্বরিয়াকে একা পেতে হলে তাকে কী করতে হবে? জবাবে সিমন যা বলেছিলেন, তার সবটা তিনি প্রকাশ্যে জানাতে পারেননি। বলেছিলেন, সেগুলো ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করা অনুচিত। তবে সিমন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তার গ্রাহককে ছোঁওয়ার কোনও সুযোগই তিনি দেবেন না হার্ভেকে। সে দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে হলিউডের পরিচালককে 'শূকর' বলে উল্লেখ করে সিমন বলেছেন, "ঐশ্বরিয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ও যা করছিল, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এমনকি, আমাকেও আমার ক্যারিয়ার নিয়ে হুমকি দিতে ছাড়েনি হার্ভে।" বদলা নিতে সেদিন হোটেলে ফিরে হার্ভেকে একটি শূকরের খাবার স্টিলের পাত্র পাঠিয়েছিলেন সিমন। তাতে ভরে দিয়েছিলেন ডায়েট কোক। সাধারণভাবে পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া দাওয়াকে ডায়েট বলা হয়। সিমনও সম্ভবত হার্ভেকে তার 'খিদে' নিয়ন্ত্রণের বার্তাই দিতে চেয়েছিলেন। ঐশ্বরিয়ার কি ব্যাপারটা জানতেন? না কি তিনি এর কিছুই টের পাননি? সিমনের সাক্ষাৎকারে তার জবাব পাওয়া যায়নি। ঠিক যেমন সিমনের এই দাবির পরও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ঐশ্বরিয়াও। সূত্র: আনন্দবাজার বিডি প্রতিদিন/কালাম
বলিউড, ঐশ্বরিয়া, সিমন, হলিউড, মি টু
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। পেছনে ইনসেটে হার্ভে উইনস্টেইন
entertainment
https://www.bhorerkagoj.com/2021/11/15/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80/
প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে জীবন্ত কবর দিলেন স্ত্রী
প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে জীবন্ত কবর দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মিশরের এক তরুণীর বিরুদ্ধে। ওই তরুণীর প্রেমিক তার স্বামীর বন্ধু ছিলেন। দেশটির ডাকাহলিয়া গভর্নরেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের কাছে ওই তরুণী দাবি করেছেন, তার ৪২ বছর বয়সী স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে নিখোঁজ এবং তার কাছে স্বামীর মুক্তিপণ দাবি করে ফোন করা হয়েছে। তবে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত অপহরণকারী ও হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি একই এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত অপহরণকারী, হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি ও তার স্ত্রী পরস্পরের বন্ধু। খবর গালফ নিউজের। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বন্ধুকে হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, যাকে হত্যা করা করা হয়েছে তার স্ত্রীও এর সঙ্গে জড়িত। স্বামীর অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে তার বন্ধুকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ওই তরুণী। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের জবানবন্দীতে বলেন, বন্ধুকে ডেকে নিয়ে জুসের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন তিনি। এতে তার বন্ধু অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর ওই তরুণীর সহায়তায় তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়। অভিযুক্তের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুই মাস পর ঘটনাস্থল থেকে হতভাগ্যের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই তরুণীও স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কারাগার,জীবন্ত কবর,প্রেমিক,স্ত্রী,স্বামী
প্রতীকি
miscellaneous
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/রাজৈর-উপজেলা-পরিষদের-উপনির্বাচনে-আলীগ-প্রার্থীর-জয়
রাজৈর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থীর জয়
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ৩২ হাজার ৭৬৪ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬০ হাজার ৫৭৯ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মহসিন মিয়া আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮১৫ ভোট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজৈর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজৈর উপজেলার ৬৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ জুলাই রাজৈর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব মিয়ার মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়েছিল। উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ২১০। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৩৯৪। বাতিল হওয়া ভোটের সংখ্যা ৮১৬। নির্বাচন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি। দু-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন,মাদারীপুর,উপনির্বাচন,রাজৈর,নির্বাচন,ঢাকা বিভাগ
মো. রেজাউল করিম চৌধুরী
national
https://www.ajkerpatrika.com/164132/%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%98%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF
সড়ক ঘেঁষা জমি থেকে চলছে মাটি কাটা, ঝুঁকি
গাইবান্ধার সাঘাটার আগ-গরগরিয়া এলাকায় কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এতে কৃষিজমি নষ্টের পাশাপাশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে হাফানিয়া-মহিমাগঞ্জ ব্যস্ততম সড়ক।সরেজমিনে জানা যায়, হাফানিয়া-মহিমাগঞ্জ সড়কে দাঁড়ানো ট্রাকে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে পাশের জমি থেকে মাটি তুলছে। এই মাটি যাচ্ছে স্থানীয় একটি ইটভাটায়।এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন এখান থেকে ২৫-৩০ ট্রাক মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। সড়কের পাশের আবাদি জমি থেকেও গভীর গর্ত করে মাটি কাটার কারণে সড়কটি এবং আশপাশের আবাদি জমি ঝুঁকিতে পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে সড়ক এবং আশপাশের আবাদি জমিগুলো ভেঙে খাদে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কথা বলেও কোনো কাজ হয় না। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক এবং আশপাশের আবাদি জমি ঘেঁষে এভাবে মাটি কেটে গর্ত করলেও বিষয়টি কেউ আমলে নেন না। ফলে উপজেলায় দিন দিন অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠছে। জমি থেকে মাটির স্তর ইটভাটায় যাওয়ার কারণে আবাদির জমির উর্বরতা শক্তিও হ্রাস পাচ্ছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে আগ-গরগরিয়া গ্রামের এক কৃষক বলেন, ওই গভীর গর্তের পাশে তাঁর ২ বিঘা ইরি ধানের জমি রয়েছে। আগামী বর্ষায় ভারী বৃষ্টিপাত হলে তাঁর জমির মাটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।এদিকে মাটি বিক্রেতা আব্দুল বাকী মাস্টারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি নিজের আবাদি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করে বলেন, 'জমিতে আমি এখনো যাইনি। সড়ক এবং আশপাশের জমি ঘেঁষে গর্ত করা হলে তা পূরণ করে দেওয়া হবে।'সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, বেলে মাটি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই গলে যায়। এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা,সড়ক,রংপুর বিভাগ,কৃষি,ঝুঁকি,জমি,সাঘাটা,ইটভাটা,রংপুর,ছাপা সংস্করণ,রংপুর সংস্করণ,দিনাজপুর নীলফামারী গাইবান্ধা
সড়ক ঘেঁষা জমি থেকে চলছে মাটি কাটা, ঝুঁকি
national
https://www.prothomalo.com/bangladesh/সরকারের-দুটি-চ্যালেঞ্জের-কথা-জানালেন-সেতুমন্ত্রী
সরকারের দুটি চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতা প্রতিরোধ করাই হচ্ছে সরকারের চ্যালেঞ্জ। এই দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি কাজের সুসমন্বয় ও দলের ঐক্য আরও সুসংহত করা জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার সকালে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার লিংক রোড হতে উনচি প্রাং পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত সড়কের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন। তিনি ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। করোনার অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে ঢিলেঢালাভাব ও উদাসীনতার বিরুদ্ধে লকডাউন নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করার নির্দেশনা দেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সময় ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ লড়াইয়ের সাহসী কান্ডারি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সবকিছুতে সরকারের ওপর দায় চাপানোর মধ্য দিয়ে বিএনপি তাদের দায়িত্বহীনতা প্রকাশ করতে চায় বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব লঞ্চডুবির সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মিলিয়ে ফেলেছেন। কোনটি সরকারের দায়, কোনটি নয়, সেটিও বিবেচনায় নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমালোচনা বিএনপিকে এমনই অন্ধ করেছে যে এখন কালবৈশাখীর মৃত্যুর দায়ও তারা সরকারের ওপর চাপাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো দেখা যাবে, বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায়ও সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকার জনঘনিষ্ঠ যেকোনো ইস্যুতে সবার আগে সাড়া (রেসপন্স) দেয় বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে সবার আগে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'করোনার এই দুঃসময়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিএনপি কী করেছে? তা দেখলেই তাদের মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির পাশাপাশি জনগণের প্রতি দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঘরে বসে লিপ-সার্ভিস দিয়েই বিএনপি নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে।' বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের এমন পলায়ন মনোবৃত্তি ও জনকল্যাণে নিস্পৃহ ভাব জনগণের প্রতি তাদের (বিএনপি) প্রতিশ্রুতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বিএনপি,করোনা বাংলাদেশ,সরকার,ওবায়দুল কাদের,আওয়ামী লীগ
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
politics
https://samakal.com/bangladesh/article/210770655/লালসবুজ-খাম-দিয়ে-বিশাল-পতাকা-বানালেন-কারুশিল্পী-সাইমন
লাল-সবুজ খাম দিয়ে বিশাল পতাকা বানালেন কারুশিল্পী সাইমন
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কারুশিল্পী সাইমন ইমরান হায়দার লাল ও সবুজ খাম দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তৈরি করেছেন, যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ বলে দাবি করা হয়েছে। বিশাল আকারের এ পতাকাকে গিনেস বুকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শনিবার গিনেস কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত আবেদনের মাধ্যমে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে এ পতাকা তৈরি করেন সাইমন ইমরান। ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের এ পতাকা তৈরি করতে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে তার। খাম তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক-রীতিনীতি বহন করে এলেও এখানে নতুন রেকর্ডের শিরোনাম হতে যাচ্ছে। 'খাম দিয়ে তৈরি সর্ববৃহৎ পতাকা' নামে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে প্রায় ১৬ হাজার খাম ব্যবহার করেছেন তিনি। এসব দিয়েই ২৪০ বর্গমিটার আকারের ওই পতাকা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত কাজ করে নতুন রেকর্ডের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাইমন ইমরান। এর আগে গত কয়েক বছরে সাইমন নিজেই সব খাম বানিয়েছেন। 'দুর্নিবার বাংলাদেশ' শিরোনামে পতাকা তৈরির এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। এছাড়া সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং লেখক, ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ ড. মুনতাসির মামুন সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পতাকাটির স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, নাম লিপিবদ্ধকরণ এবং প্রশংসাপত্র পাওয়ার জন্য সব নথি-প্রমাণ, চিত্রায়ন ও নিরীক্ষা রিপোর্ট ইতোমধ্যে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কারুশিল্পী সাইমন এ কাজটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করছেন। সাইমন আরও কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, যা বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম জাগ্রত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ,জাতীয় পতাকা,পতাকা,গিনেস বুক
লাল ও সবুজ খাম দিয়ে বানানো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
national
https://www.ajkerpatrika.com/187525/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE
শ্রমিক-সংকট, বিপাকে কৃষক
মধুপুরের মুক্ষ্যগাঙ্গাইর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন। পাঁচ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। ফলন হয়েছে বেশ ভালো। ঘূর্ণিঝড় অশনিতে ক্ষতির আশঙ্কায় সংগ্রহের উপযোগী আড়াই বিঘা (৭৫ শতাংশ) জমির ধান দ্রুত কাটার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির পাশের জমি থেকে ধান কাটার জন্য চুক্তি করেছিলেন ১৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ধান কাটা শুরুও করেছিলেন শ্রমিকেরা। তবে আকাশ মেঘলা হওয়ায় কাজ ছেড়ে চলে যান তাঁরা। ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র না থাকায় শ্রমিকের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। টাকা দিয়েও মিলছে না নতুন শ্রমিক। তাই জমির ধান কাটা নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি।শুধু নাজিম উদ্দিন নন, তাঁর মতো শ্রমিকসংকটের কারণে বিপদে পড়েছেন উপজেলার অন্যান্য গ্রামের কৃষকেরাও। অনেক কৃষক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কেটে বাড়িতে তুলছেন। কিন্তু দূরের জমির ধান সংগ্রহের জন্য শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।মধুপুর পৌরশহরের নরকোনা গ্রামের কৃষক আব্দুল গণি। তিনি শ্রমিকের উচ্চমূল্য দেখে সন্তানদের নিয়েই খেতের ধান অনেকটা কেটে ফেলেছেন। সন্তানেরা কর্মস্থলে যোগ দেওয়ায় বাকি ধান সংগ্রহে বিলম্ব হচ্ছে। জনপ্রতি ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ৩ বেলা খাবার দেওয়ার শর্তেও শ্রমিক সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি।মধুপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার জানান, চলতি মৌসুমে মধুপুর উপজেলায় ১২ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। শ্রমিকসংকটে মহাবিপদে পড়েছেন মধুপুরের কৃষকেরা। অশনির পূর্বাভাসের আতঙ্ক বিপদকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।ধান কাটা শ্রমিকের অপ্রতুলতার কারণ জানিয়ে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বলেন, ঝড়ের কারণে মাঠে ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রমজানের মধ্যেই সারা দেশে একযোগে ধান কাটা শুরু হয়। এ কারণে শ্রমিকসংকট বেশি দেখা দিয়েছে। এই সংকট কাটাতে বেশ কয়েক দিন লাগবে।এদিকে ধানের দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা। যাঁরা সম্ভ্রান্ত চাষি, তাঁরা ধান গোলায় তুলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর স্বল্প আয়ের কৃষকেরা বাধ্য হয়ে ধান বিক্রি করছেন কম দামেই।আশুরা গ্রামের আছর আলী বলেন, 'বাড়ির পাশের জমির ধান সন্তানদের নিয়ে কেটে বাড়িতে এনেছি। ধানের দাম ৬০০ টাকা মণ। তাই ধান সেদ্ধ করছি শুকিয়ে রেখে দেওয়ার জন্য।'কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, বাধ্য হয়ে তিনি অনেক তোষামোদ করে ৬৫০ টাকা দরে কিছু ধান বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, 'পাইকারেরা ধান নিতেই চান না। তাঁরা বলছেন, মিলাররা ধান নিচ্ছেন না। আমরা ধান কিনে কী করব? এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকের মজুরি সংগ্রহ করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।'মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, মধুপুর উপজেলায় ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর। কৃষি বিভাগের কর্মীদের পরামর্শ, সহযোগিতা ও কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনার ফলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বিভিন্ন স্থানের নমুনা শস্য কেটে দেখা গেছে, প্রতি হেক্টরে ৬ টনের বেশি ফলন হয়েছে। এখন ধান সংগ্রহে সমস্যায় পড়েছেন কৃষক। সরকার হারভেস্টর মেশিন (ধান কাটার যন্ত্র) সরবরাহ করলেও এই মেশিনে ধান কাটায় কৃষকদের আগ্রহ কম।হারভেস্টর মেশিনের মালিক মো. রুহুল আমিন বলেন, 'মেশিনের সাহায্যে ধান কাটলে কৃষকেরা খড়ের সংকটে পড়বেন-এই ভাবনা থেকে তাঁরা মেশিনে ধান কাটতে আগ্রহী হন না। বড় চাষি ছাড়া কেউ আমাদের ধান কাটার জন্য ডাকেন না। শ্রমিকসংকটের এই মুহূর্তে নিজেরা অথবা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছেন তাঁরা।'কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'মেশিনে ধান কাটায় সময় কম লাগে। খরচও কম হয়। কিন্তু আমাদের গরুর খড় পাব কই? এখন চারদিকে ঘাসেরও সংকট। খড়ও যদি জোগাড় করে না রাখা হয় তাহলে গবাদিপশু পালন বন্ধ হয়ে যাবে।'প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, খড়ের মাধ্যমে গবাদিপশুর খাবারের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ হয়। এই চাহিদা পূরণের বিকল্প হিসেবে অব্যবহৃত জায়গায় আধুনিক জাতের ঘাস চাষ করলে সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে।
টাঙ্গাইল,ঢাকা বিভাগ,ঘূর্ণিঝড়,ধান,মধুপুর,শ্রমিক,আশঙ্কা,সংকট,ছাপা সংস্করণ,ময়মনসিংহ সংস্করণ,আজকের টাঙ্গাইল
মধুপুরের রানিয়াদ গ্রামের একটি জমিতে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় শ্রমিকেরা। গতকাল ।
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/04/26/643527
বিএনপির দেওয়া চিঠির জবাব দিলেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের কাছে নিজের লিখিত বক্তব্য সংবলিত একটি চিঠি তুলে ধরেন মির্জা আব্বাস। দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, চিঠিতে মির্জা আব্বাস নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। দলকে লেখা চিঠিতে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। বিএনপির রাজনীতিতে ইলিয়াস আলী তার ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে উল্লেখ করে তার প্রতি সব সময় দুর্বল ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমে তার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির রাজনীতিতে 'বিশ্বস্ত' বলে পরিচিত নেতা মির্জা আব্বাসের বিরোধী দলের একটি গ্রুপ এই বিষয়টি ইস্যু হিসেবে তৈরি করেছে। একটি ভার্চুয়াল সভায় স্বভাবসুলভ বক্তব্য দেন আব্বাস। বিষয়টি নিয়ে যতটা না জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনা আছে, তার চাইলেও বেশি ঘাঁটছেন দলের নেতাদের কেউ কেউ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মির্জা আব্বাস জানান, আমি দলীয় চিঠির জবাব দিয়েছি। তবে চিঠির বিষয় বস্তু সম্পর্কে বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
null
মির্জা আব্বাস
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/04/17/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%98%e0%a6%a8-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%95/
মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে অবহিত যুক্তরাষ্ট্র
সারাবিশ্বে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত রাশাদ হোসাইন বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবহিত রয়েছে এবং পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি চীনে মুসলমান নিগ্রহ ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের বিষয়গুলোও উল্লেখ করেন। এই অবস্থার অবসানে বিশ্বে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার বিকাশে মার্কিন প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। রবিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল পৌনে চারটায় তিনি ঢাকার পল্টন টাওয়ারে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস্ও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের হিন্দু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভবিষ্যতেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশাদ হোসাইন বাংলাদেশের বিদ্যমান ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক পরিস্থিতি সম্পর্কে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চান। ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত তাকে জানান, ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদী তৎপরতা বাংলাদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে অস্তিত্বের সংকটে নিক্ষেপ করেছে। ভবিষ্যতের নির্বাচনী পরিস্থিতি তাদের শঙ্কাগ্রস্ত করে তুলছে। এর জবাবে রাশাদ হোসাইন বলেন, আমি ও আমার পরিবার ভারতের বিহার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি এবং নাগরিকত্ব পেয়েছি। সেখানকার সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে সে দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করে বিধায় আমি আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত হয়ে এ জায়গায় আসতে পেরেছি। সংবিধানের অন্যতম উদ্দেশ্য হল সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেন, সমাজের মনোজাগতিক বিষয়ের পরিবর্তন কেবল সরকারের একার নয় আপনারাসহ সুশীল সমাজকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। বৈঠকে মত বিনিময়ে অংশ নেন ঊষাতন তালুকদার, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, দীপেন চ্যাটার্জী, অশোক বড়ুয়া, মনীন্দ্র কুমার নাথ, নির্মল চ্যাটার্জী প্রমুখ।
null
রবিবার বিকেলে ঢাকার পল্টন টাওয়ারে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
national
https://samakal.com/international/article/2205110710/পুতিনকে-কাপুরুষ-বললেন-ন্যান্সি-পেলোসি
পুতিনকে 'কাপুরুষ' বললেন ন্যান্সি পেলোসি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিনের যুদ্ধ কেবল বর্বরতামূলক কর্মকাণ্ডই নয়, এটি কাপুরুষোচিত কাজও। ইউক্রেনকে নতুন করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ওপর প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের আগে পেলোসি বলেন, একজন কাপুরুষ ছাড়া কে আছেন যে যুদ্ধে যাচ্ছে ভাব নিয়ে একটি প্রসূতি হাসপাতালে বোমা হামলা করে? একজন কাপুরুষ ছাড়া কে আর তার সেনাদের শিশুদের বা তাদের বাবা-মাকে একে অপরের সামনে ধর্ষণের মতো বর্বরতার জন্য পাঠাবে? একজন কাপুরুষ ছাড়া কে আর আছে যে শিশুদের ট্রেনে করে রাশিয়ায় নিয়ে যাবে। বুধবার ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইনের দেওয়া লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানানো হয়। পেলোসি আরও বলেন, আমাদের সবার খুব গর্ব করা উচিত যে, যখন পুতিন একটি কাপুরুরষোচিত নিষ্ঠুর এবং বর্বরতার সিদ্ধান্ত নিলেন, আমরা ছিলাম তাদের (হামলার শিকার মানুষদের) সাহায্য করার। এটা গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার সম্পর্কিত বিষয়। অবশ্যই গণতন্ত্র জয়ী হবে।
ন্যান্সি পেলোসি,ভ্লাদিমির পুতিন,ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা,র্বরতামূলক কর্মকাণ্ড
ন্যান্সি পেলোসি। : আল-জাজিরা
international
https://samakal.com/whole-country/article/19021905/বাড়িতে-পলাশের-দাফন-সম্পন্ন
নিজ বাড়িতে পলাশের দাফন সম্পন্ন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুরের দুধঘাটায় নিজ বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়। পলাশের বাবা পিয়ার জাহান সমকালকে বলেন, তার লাশ গ্রহণ করার আমার কোনো ইচ্ছে ছিল না। প্রশাসন আমাদেরকে ডাকায় সোমবার রাতে আমি তার লাশ নিতে চট্টগ্রামে যাই। তিনি বলেন, পতেঙ্গা পুলিশের কাছ থেকে লাশ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছাই। সকাল ৯টার দিকে তাকে দাফন করা হয়। রোববার চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ নম্বর ফ্লাইট ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আলোচনার তুঙ্গে চলে আসে পলাশ। তার অতীত কর্মকাণ্ডের কথা উঠে আসতে থাকলে বিস্মিত হন সকলে। নারায়ণগঞ্জের এই যুবক কেন হঠাৎ 'অস্ত্র হাতে' ও 'বোমাসদৃশ' বস্তু শরীরে নিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের মতো দুঃসাহসিক আর ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নামল, তা পরিষ্কার নয় তার বাবার কাছেও। এমনকি পলাশের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে গোয়েন্দারা সন্দেহাতীত কোনো তথ্য পাননি। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ ঘটনায় জড়িত যুবক 'বিষাদগ্রস্ত' ছিল।
পলাশ আহমেদ,বিমান ছিনতাই চেষ্টা
বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদ।
national
https://www.dailynayadiganta.com/election/471036/ইভিএম-ব্যবহার-বন্ধে-হাইকোর্টে-রিট
ইভিএম ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। আগামী সপ্তাহে বিষয়টি হাইকোর্টের যেকোনো বেঞ্চে শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রিটে ইভিএম সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ এবং এর বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এতে বিবাদী করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিবকে। রিট আবেদনে বলা হয়, 'ইভিএম সংক্রান্ত আইন সংসদে পাস হয়নি এবং আরপিও ধারা ২৬(এ) অনুযায়ী ইভিএম বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং এ আইন জরুরি ছিল না। এটি সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, অনুচ্ছেদ ৯৩ বলে কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। কিন্তু ২০১৮ সালে সংসদ বহাল ছিল এবং ইভিএমের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা জরুরি ছিল না।' '২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ছয়টিতে ইভিএম চালু ছিল। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। এছাড়া সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এবং অন্যান্য আইনে জনগণের সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার বিধান আছে, যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটার যাচাই-বাছাই করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট ব্যালটের মাধ্যমেই সরাসরি দিতে হবে,' যোগ করা হয় আবেদনে। রিটে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ইভিএম নেই। ওই আইন (ইভিএম সংক্রান্ত) পাস করতে জনগণের গণভোট নেয়া হয়নি। আইনটি সংবিধানের ৭, ১১, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সূত্র : ইউএনবি
null
ইভিএম ব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2020/12/14/%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%a3%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a7%ab-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%be/
ধর্ষণের দায়ে ফাঁসির ৫ আসামি আপিলে খালাস
এক কিশোরীকে গণধর্ষণের দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামিকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ওই মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃতুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) ও আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষ দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় উচ্চ আদালত খালাসের এই রায় দিয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক রানা সিদ্দিকী। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ,এ এম মাহবুব উদ্দিন,বজলুল কবির,আফিল উদ্দিন, সাকিব মাহবুব, সাইফুর রহমান রাহি ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক ফরিদ বলেন, মামলার বাদী যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার আলামত পাওয়া যায়নি বলে মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া মামলার বাদী যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তার সাথে মামলার বিবরণ, সাক্ষীদের বক্তব্যের মধ্যে অসামঞ্জস্য ছিল। ফলে ধর্ষণের অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয় না। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনাকারী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থতার জন্য সাক্ষীদের আচরণকে দায়ী করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে নোট পাঠাব। তিনি সিদ্ধান্ত দিলে আপিল করা হবে। ঘটনার ১৩ বছর পর ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার ছয় আসামির মধ্যে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০২ সালের ২০ জুলাই নেত্রকোনা সদর থানার বাহাদুরপুর গ্রামের ওই কিশোরী মায়ের সঙ্গে পূর্বধলা উপজেলার সাতপাটি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে রাতে কুমারখালী এলাকার হোগলা পাকা রাস্তার ব্রিজের ওপর পৌঁছালে পাঁচ আসামি ছুরি ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে রিকশার গতিরোধ করে ওই কিশোরীকে ধরে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পরে পাশের একটি ভবনে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলে আসামিরা ওই কিশোরীকে নিয়ে বিলের পানিতে নেমে গিয়েছিল বলে মামলায় বলা হয়েছে। পরে ওই কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ওই কিশোরী নিজেই পূর্বধলা থানায় মামলা করেন। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। ঘটনার চার মাসের মাথায় তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তার ১০ বছর পর ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। তারও তিন বছর পর ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়ে বিচারিক আদালতের রায় হয়। এসএইচ
আপিল,আসামি,খালাস,ধর্ষণ,ফাঁসি,বিচার
হাইকোর্ট।
national
https://www.prothomalo.com/business/market/ছয়-দিন-পর-বাড়ল-সূচক
ছয় দিন পর বাড়ল সূচক
অবশেষে টানা ছয় দিন পর সূচক বেড়েছে পুঁজিবাজারে। আজ বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। আবারও উঠে এসেছে ৫ হাজার পয়েন্টের ওপরে। অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৩ পয়েন্টে। গতকাল সূচকটি ৫ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে যায়। গত ছয় কার্যদিবসে ডিএসইএক্স কমে ১৯২ পয়েন্ট। অপর দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক (সিএএসপিআই) বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার; যা গতকালে চেয়ে বেশি। গতকাল লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯২টির। কমেছে ৯৭টির। দর অপরিবর্তিত আছে ৬৩টির। আজ লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, আইপিডিসি, ফরচুন, মুন্নু সিরামিকস, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মুন্নু স্টাফলার, ডরিন পাওয়ার, ন্যাশনাল টিউবস, স্টাইল ক্র্যাফট ও সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। দর বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ লিমিটেড, গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, দেশবন্ধু, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, এসইএমএল লেকচার ইকুটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, মুন্নু স্টাফলার, ন্যাশনাল টিউবস ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড। দর কমার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো ফার্স্ট ফাইন্যান্স, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড, কপার টেক, জুট স্পিনিং, সি পার্ল, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড, ফারইস্ট ফাইন্যান্স ও জেমিনি সি ফুড। অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ১৩০টির। বেড়েছে ৯৭টির। দর অপরিবর্তিত আছে ৩৬টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ,পুঁজিবাজার,ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ,শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার
economy
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2022/05/15/769245
ন্যাটোর সহায়তার ফলেই ইউক্রেনে প্রতিদিন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে: স্টোলটেনবার্গ
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব বলেছেন, তাদের সহায়তার ফলেইপ্রতিমুহূর্তে ইউক্রেনের অবস্থারপরিবর্তন ঘটছে। রোববার জার্মানির বার্লিনে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনেতিনি এই মন্তব্য করেন। ন্যাটো প্রধান বলেন, জোটের সদস্যরা ইউক্রেনে শত কোটি ডলার সহায়তা দিতেপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলেইযুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি বিডিপ্রতিদিন/কবিরূল
ইউক্রেন, ন্যাটো, জেনস স্টোলটেনবার্গ
ন্যাটো প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ
international
https://www.ajkerpatrika.com/52944/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8
বাংলা টাইগার্সে বাংলাদেশের শুধু সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশি মালিকানাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি বাংলা টাইগার্স প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছে শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমিরের মতো তারকাদের। এবার তাঁদের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি দলে ভিড়িয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এবারের টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন সাইফউদ্দিন।প্রথমবারের মতো আবুধাবি টি-টেন লিগে দল পেলেন সাইফউদ্দিন। সামনে বাংলাদেশের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণে জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়দের স্কোয়াডে রাখা সম্ভব হয়নি বলে আগেই জানিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। গতকাল টি-টেন লিগের পঞ্চম পর্বের জন্য সাইফউদ্দিনের সঙ্গে আফ্রিদি আর আমিরকেও নিয়েছে বাংলা টাইগার্স।আগে থেকেই বাংলা টাইগার্সের 'আইকন' হিসেবে আছেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির নেতৃত্বেও থাকছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পাওয়া এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। এ ছাড়া বাংলা টাইগার্স স্কোয়াডে আছেন আফগান ব্যাটার হযরতউল্লাহ জাজাই, অস্ট্রেলিয়ান পেসার জেমস ফকনার, ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েল, অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাডাম লিথ, লঙ্কান তরুণ পেসার মাথিসা পাথিরানা।গত মৌসুমে স্কোয়াডে থাকা ইসুরু উদানা, আন্দ্রে ফ্লেচার, জনসন চার্লস, কায়েস আহমেদ ও চিরাগ সুরিকে 'রিটেইন' খেলোয়াড় হিসেবে দলে রেখেছে বাংলা টাইগার্স। টি-টেনের এবারের পর্ব শুরু হবে আগামী ১৯ নভেম্বর। আর পর্দা নামবে ৪ ডিসেম্বর।বাংলা টাইগার্স দল:ফাফ ডু প্লেসিস (আইকন, অধিনায়ক), শহীদ আফ্রিদি, হযরতউল্লাহ জাজাই, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোহাম্মদ আমির, বেনি হাওয়েল, আন্দ্রে ফ্লেচার, জনসন চার্লস, ইসুরু উদানা, কায়েস আহমেদ, চিরাগ সুরি, জেমস ফকনার, অ্যাডাম লিথ, উইল জ্যাকস, উইল স্মেড, হাসান খালিদ ও সাবির রাও।
ক্রিকেট,বাংলাদেশ ক্রিকেট,সাইফউদ্দিন,শহীদ আফ্রিদি,টি-টেন
বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
sports
https://www.bhorerkagoj.com/2019/11/04/%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a6/
তরিকুল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দ্বিধা করতেন না
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তরিকুল ইসলাম সারা জীবন রাজনীতির মধ্যে ছিলেন। সত্যিকার অর্থে একজন অনুকরনীয় নেতা। অকুতোভয়ে সত্যা কথা বলতে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে কখনোই দ্বিধা করতেন না। সোমবার (৪ নভেম্বর) যশোরে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা বিএনপি কর্তৃক জেলা পারিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি একথা বলেন। প্রয়াত তরিকুল ইসলামের স্ত্রী যশোর পজলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নারগিস বেগমের সভাপতিত্বে স্বরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সাদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। ফখরুল বলেন, তরিকুল ভাইয়ের জানাজায় আমি আসতে পারিনি। উনার কবরে মাটি দিতে পারিনি। এটা আমার সারা জীবনের দুঃখ। আমরা এক সাথেই রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু করেছিলাম। স্বাধীনতা রক্ষা ও সুষ্ঠু সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্যে আমরা তরিকুল ইসলামের সহযোগী ছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের আরেক সহযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা মারা গেছেন। এ যেন এক মৃত্যুর মিছিল। এই চলে যাওয়ার মধ্য দিয়েই আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখতে হবে। এই চলে যাওয়ার মধ্যদিয়ে তাদের পথ অনুসরণ করে আগামীর সূর্যকে উঠতে দেখতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণ আমাদের যেভাবে চায় সেইভাবে তাদের পাশে পাই কিনা। যদি না পায় তাহলে আমাদের জনগণের পাশে থাকার সেই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। তিনি বলেন, আদালত প্রধানমন্ত্রীর কব্জার মধ্যে। তিনি চাইলে কারো মুক্তি হয়। না চাইলে মুক্তি হয় না। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্পষ্টবাদী হওয়া একজন রাজনীতিবিদের জন্য খুব কঠিন। কারন স্পষ্টবাদী হলে তার শত্রু বাড়ে। তবে তরিকুল ইসলাম এসবের তোয়াক্কা করেতেন না। এর চাইতে বড় গুন মানুষের হতে পারেনা। মানুষিকভাবে বিএনপিকে এগিয়ে নিতে হলে বিত্তের দুর্বিত্তায়নমূলক রাজনীতি পরিহার করে তরিকুল ইসলামের পথে হাটতে হবে।
null
যশোরে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2021/12/11/719958
অসুস্থ বাবার সামনে ছেলেকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর
ঝিনাইদহের মহেশপুরে অসুস্থ বাবার সামনে ছেলেকে নিজের মুখে জুতার বাড়ি দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। একই সাথে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আরিফুজ্জামানের পা ধরেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাকে। এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পড়েন হাসপাতালের চিকিৎসাধীন বাবা গিয়াস উদ্দিন সরকার। গত ৮ ডিসেম্বর (বুধবার) মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে জানা গেছে, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন (৬২)। সেই দৃশ্যের স্মৃতি নিয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগী ওই তরুণের নাম এস এম সরকার। তিনিও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। তবে ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুজ্জামান জানান, হুসাইন সরকার আমাকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছিল। সে কারণে আমি থানায় হুসাইনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে একটি অভিযোগ করি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাচ্ছিলাম না। তাই হাসপাতালে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য আইডি থেকে তুলে নেওয়াসহ তার সাথে আপোষের জন্য গিয়েছিলাম। তার পিতা-মাতার সামনে এটি করা হয়নি এবং যা হয়েছে কেবিনের বাইরে এবং আমি তাকে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখায় নি। রাতের বেলায় হাসপাতালে রোগীর কেবিনে ঢুকে নির্যাতনের ঘটনাটি জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. হাসিবুল সাত্তার জানান, বিষয়টি জানি না। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে গিয়াস উদ্দিন (৬৫) নামে ওই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ নিহতের নিজ গ্রাম যাদবপুরে শোকে ছায়া নেমে এসেছে। তিনি যাদবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
ছাত্রলীগ, জুতা, মারধর, হাসপাতাল
ছাত্রলীগ নেতার পা ধরে মাফ চাচ্ছেন ভুক্তভোগী তরুণ
national
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/563682/সৌদি-যুবরাজ-নন-বাদশাহ-সালমানই-বাইডেনের-সমকক্ষ-নেতা-হোয়াইট-হাউজ
সৌদি যুবরাজ নন, বাদশাহ সালমানই বাইডেনের সমকক্ষ নেতা : হোয়াইট হাউজ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদি আরবে সমকক্ষ রাষ্ট্রনেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নন। বরং বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ জো বাইডেনের সমকক্ষ রাষ্ট্রনেতা। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা শুরু থেকেই পরিষ্কার করতে চাচ্ছি, সৌদি আরবের সাথে আমাদের সম্পর্ককে পুনর্বিন্যাস করতে যাচ্ছি।' সংবাদ সম্মেলনে জেন সাকি বলেন, 'প্রেসিডেন্টের সমকক্ষীয় নেতা বাদশাহ সালমান।' উভয় নেতাই 'উপযুক্ত সময়ে' বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠক করবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে জেন সাকি বলেন, 'কিছু কিছু বিষয় সমকক্ষীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনায় নিয়ে আসা হবে।' ডি ফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অধীনে সৌদি আরবের সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও হোয়াইট হাউজের সাম্প্রতিক এই অবস্থান সম্পর্কের নতুন বিন্যাসের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে বাইডেন প্রশাসন মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক ও মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের নিবন্ধক জামাল খাশগজির হত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের অনুধাবনে এক প্রতিবেদন প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামাল খাশগজিকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। শুরুতে সৌদি কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর বিষয়ে দায়িত্ব অস্বীকার করলেও শেষে তারা খাশগজিকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনার অভিযানে দায়িত্বহীনতার অভিযোগে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় নেয়। সিআইএ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী। তথাপি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে রক্ষা করে আসছিলেন। সূত্র : ইয়েনি শাফাক
মধ্যপ্রাচ্য,আরব উপদ্বীপ,সৌদি আরব,বাদশাহ সালমান,মোহাম্মদ বিন সালমান,যুক্তরাষ্ট্র,জো বাইডেন
সৌদি বাদশাহ সালমান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
international
https://www.dailynayadiganta.com/politics/611801/বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে-সর্বত্র-যথাযথ-স্বাস্থ্যবিধি-মানার-নির্দেশ-রাষ্ট্রপতির
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সর্বত্র যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষ, ছাত্রাবাস, ক্যাম্পাস, অফিসসহ সর্বত্র যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আব্দুল হামিদ স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ ও মনিটরিংয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, রাষ্টপতির উপ-প্রেস সচিব মুন্সী জালাল উদ্দিন বাসসকে এ কথা জানান। রাষ্ট্রপতি করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাশসহ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। সে ক্ষেত্রে আব্দুল হামিদ বলেন সবকিছুর উপরে থাকতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সাক্ষাৎকালে ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রপতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক অবহিত করেন।তিনি রাষ্ট্রপ্রধানকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পাওয়ার পর সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ধাপে ধাপে ক্লাস কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদল তাদের প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সূত্র : বাসস
null
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সর্বত্র যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2018/07/29/%e0%a6%88%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%9b%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf/
ঈশ্বরদীতে তিন ছাত্রীর বিষপান নিয়ে ধূম্রজাল
উপজেলার বাঁশেরবাদা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির তিন ছাত্রীর একসঙ্গে বিষপান করে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার দিন (বৃহস্পতিবার) তারা তিনজন স্কুলে না গিয়ে একটি লিচুবাগানে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিষপান করে। এ তিনজনের মধ্যে মৃত সুমাইয়া খাতুন বর্ষার বাড়িতে এখনও চলছে শোকের মাতম। শনিবার রাতে দাপুনিয়া গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সঙ্গীতা রানী দাস নামে আরেক ছাত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্ষার বাবা কবির শেখ বলেন, চার ছেলেমেয়ের মধ্যে এই মেয়েটি ছোট ছিল বলে সবার আদরে বড় হচ্ছিল। কী কারণে সে বিষপান করল, আর বিষই বা কোথায় পেল- তা এখনও জানতে পারিনি। আত্মহত্যার চেষ্টাকারী অপর ছাত্রী সানজিদা তাবাসসুম কবিতা জানিয়েছে, তাদের বিজ্ঞান ও অঙ্ক বিষয়ে কম নম্বর পাওয়ার কারণেই তারা তিন বান্ধবী যুক্তি করে বিষপানে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রবিবার সকালে তার বাড়িতে গিয়ে বিষ কোথায় পেয়েছিলে- প্রশ্ন করা হলে সে কোনো কথা না বলে মাথা নিচু করে থাকে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেশী কিংবা বাড়ির অন্যরাও কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। স্থানীয়রা জানান, সাহাপুর ইউনিয়নের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমঘটিত কারণে তিন বান্ধবী বিষপানে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই ছেলেটির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। আত্মহত্যার চেষ্টাকারী সানজিদা তাবাসসুম কবিতার বাবা চরসাহাদিয়া গ্রামের তালেব হোসেন জানান, ঘটনার দিন ওরা তিনজন স্কুল ড্রেস পরে বাড়ি থেকে বের হলেও স্কুলে যায়নি। পথে একটি লিচুবাগানে গিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কারণ বের করতে পারেননি তারা। তাদের কেউ একজন বাড়ি থেকে বোতলে করে বিষ এনেছিল বলে জানান তিনি। চরসাহাদিয়া গ্রামের কৃষক জুবায়ের হোসেন বলেন, ওই লিচুবাগানে পড়ে থাকা বিষের বোতল দেখে তিনি ধারণা করেছেন, বেগুন গাছের পোকা মারার বিষ ছিল ওই বোতলে। দাপুনিয়া গ্রামের সুলতানা পারভিন নামে এক গৃহবধূ বলেন, বর্ষা খুব ভালো মেয়ে ছিল। কখনও কারও সঙ্গে ওর ঝগড়া লাগত না। স্কুলে যাওয়া-আসার পর বাড়ির আশপাশেই থাকত সে। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও ওর সম্পর্ক ভালো ছিল। এত অল্প বয়সে সে কেন আত্মহত্যা করল- তার কোনো কারণই বুঝতে পারছি না। বাঁশেরবাদা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরে স্কুলে একটি সংবর্ধনার আয়োজন ছিল। ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে অনুষ্ঠান স্থগিত করে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। একই দিন তিন ছাত্রীর বাড়িতে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মামুন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনও গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেন।
null
পাবনা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/01/11/%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a6/
আর্জেন্টাইন তারকার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
আর্জেন্টাইন ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান পাভনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী নারীর নাম ম্যারিসোল ডয়েল। ম্যারিসোল দাবি করেছেন যে, কয়েক বছর আগে করদোবায় অবস্থানকালে তাকে যৌন নিপীড়ন করেছেন বোকা জুনিয়র্সের ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান পাভন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার চেয়েছেন তিনি। টিএনটি স্পোর্টস প্রথম সেই পোস্ট দেখে পাভনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এ অভিযোগ সবার সামনে তুলে ধরেন। জুনিয়র্সের ভক্ত ডয়েল তার পোস্টে লিখেছিলেন, এই ব্যক্তি (পাভন) এই ক্লাবে খেলার অধিকার রাখে না। সে যে বাজে কাজ করেছে তার জবাব দিতে হবে। পোস্টে তিনি আরো বলেন, কয়েক বছর ধরে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকে। আমি যে অত্যাচারের মধ্য দিয়ে গিয়েছি, সেটা থেকে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি। আমি যে ক্লাবের ভক্ত, তাদের কাছে বিচার চাইছি। তাদের উচিত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া। আমি আর এমন ভণ্ডামি মেনে নিতে পারছি না। আমি আশা করি এবং বিশ্বাস করি, তারা এমন আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপেও খেলেছেন পাভন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা বলেছেন তিনি।
null
অভিযোগকারী ম্যারিসোল ডয়েল ও ক্রিশ্চিয়ান পাভন।
sports
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/নির্মাণসামগ্রীর-মূল্যবৃদ্ধির-প্রতিবাদে-ঠিকাদারদের-বিক্ষোভ
নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঠিকাদারদের বিক্ষোভ
রড, সিমেন্ট, বিটুমিনসহ সব প্রকার নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সরকারি মূল্যতালিকা পরিবর্তনসহ ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদারদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে জেলা ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ঠিকাদারেরা। সংগঠনের সভাপতি শেখ হেমায়েত আলীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ঠিকাদার আজাদুর রহমান, আজিজুল হক, নাজমুশ শাহাদৎ, জহিরুল কবির, আবদুল্লাহ আল বাসেত, সুজন ভূঁইয়া প্রমুখ। পরে বিক্ষোভ শেষে মৌন মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ঠিকাদারেরা বলেন, রড, সিমেন্ট, পাথর, বিটুমিনসহ সব প্রকার নির্মাণসামগ্রীর মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি টন রডের বর্তমান বাজার মূল্য ৯১ হাজার টাকা আর বিটুমিন প্রতি ড্রাম সাড়ে ১০ হাজার টাকা। অথচ একমাস আগেও প্রতি টন রডের দাম ছিল ৬৫ হাজার টাকা আর প্রতি ড্রাম বিটুমিনের দাম ছিল ৪ হাজার টাকা। গত এক মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তা সিমেন্টে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া পাথর, টাইলস, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঠিকাদারেরা জানান, প্রকল্পের কাজে সরকারিভাবে রডের দাম প্রতি টন ৮২ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। ভ্যাট ও শ্রমিক খরচ বাদ দিলে ৬০ হাজার টাকা রডের দাম ধরা। সে হিসাবে প্রতি টন রডে তাঁদের প্রায় ৩১ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রায় সব উপকরণে একই অবস্থা। যেসব প্রকল্পের কাজ চলমান, মূল্যবৃদ্ধির ফলে তাঁরা সে কাজ নিয়ে সংকটে পড়েছেন। বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই নির্মাণসামগ্রীর দাম কমানোসহ চলমান প্রকল্পের বাজেট পুনর্নির্ধারণের দাবি জানান তাঁরা।
নেত্রকোনা,উন্নয়ন প্রকল্প,নেত্রকোনা সদর,বিক্ষোভ,ময়মনসিংহ বিভাগ
রড, সিমেন্ট, বিটুমিনসহ নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নেত্রকোনায় ঠিকাদারদের বিক্ষোভ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে
national
https://www.ajkerpatrika.com/107777/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0
ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামিনুর রহমান, সম্পাদক গোলাম দস্তগীর
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির নবম সাধারণ নির্বাচনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সভাপতি এবং একই বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-সহসভাপতি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও মো. মোস্তাফিজার রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক মামুন পাটওয়ারী, কোষাধ্যক্ষ মো. মোরশেদ আহম্মদ এবং সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার, মো. নুর ইসলাম চৌধুরী ও মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।১১ সদস্যবিশিষ্ট এ কার্যনির্বাহী কমিটি আগামী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক শিবানন্দ শীল। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপপরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম শেখ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
শিক্ষা,উচ্চশিক্ষা,নির্বাচন,ইউজিসি
ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ জামিনুর রহমান সভাপতি (বামে) ও সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম দস্তগীর (ডানে)।
education-career
https://www.prothomalo.com/business/economics/চার-মাসে-দেড়-লাখ-কোটি-টাকা-আদায়-করতে-হবে
চার মাসে দেড় লাখ কোটি টাকা আদায় করতে হবে
চলতি অর্থবছরের শেষ চার মাসে (মার্চ-জুন) দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করতে হবে। কিন্তু প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে বাকি আছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ৩৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম করসহ বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করতে হবে। শুল্ক-কর আদায়ে এনবিআরের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এদিকে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় এনবিআরের লক্ষ্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে ৩ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে শেষ চার মাসে প্রতি মাসে গড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এক মাসের হিসাবে এনবিআর কখনো এত শুল্ক-কর আদায় করতে পারেনি। এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায়ের ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে তিন লাখ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আদায় হবে। কোভিডের প্রভাব কমে আসায় ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা হচ্ছে। আবার আমদানি পর্যায়ে অন্য বছরের তুলনায় শুল্ক-কর বেশি আদায় হচ্ছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও শুল্ক বাড়ানোর ফলে এবার আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায় বেড়েছে। আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক-কর আদায় করে এনবিআর। এ ছাড়া আয়করও এখন রাজস্বের বড় খাত। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক খাত থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ খাতে আদায় হয়েছে ৬৬ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই খাতে গতবার একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর পরের স্থানেই আছে আমদানি পর্যায়ে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক খাত। এই খাতে আট মাসে আদায় হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। এই খাতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ। আয়করসহ প্রত্যক্ষ কর খাতে আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৩০৮ কেটি টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ। তবে করোনার সংকট কাটিয়ে ভ্রমণ স্বাভাবিক হতে চলেছে। তাই ভ্রমণ কর আদায়ে ১৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ খাতে এখন পর্যন্ত ৪৫৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
শুল্ক,অর্থনীতি,এনবিআর,রাজস্ব
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)
economy
https://www.prothomalo.com/politics/ফখরুলের-হৃদ্‌যন্ত্রে-কোনো-সমস্যা-নেই
ফখরুলের হৃদ্যন্ত্রে কোনো সমস্যা নেই
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ আছেন। তাঁর হৃদ্যন্ত্রে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। আজ মঙ্গলবার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। শায়রুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, আজ মির্জা ফখরুল ইসলামের এনজিওগ্রাম করা হয়। চিকিৎসক মমিনুজ্জামান এনজিওগ্রাম সম্পন্ন করেন। তাঁর হৃদ্যন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন তাঁর কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার অসুস্থতাবোধ করায় বিএনপির মহাসচিবকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজনীতি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
politics
https://www.dailynayadiganta.com/cricket/352427/শাস্তির-মুখে-ছিলেন-ধোনি
শাস্তির মুখে ছিলেন ধোনি!
হতে পারতেন নায়ক। হয়ে গেলেন খলনায়ক। শেষ দু'বলে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১ রান। ব্যাট করছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। অহেতুক তিনি যদি তুলে মারতে গিয়ে আউট না হতেন, তাহলে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিত ভারতীয় দল। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য ২৫৩ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ৪৯.৫ ওভারে ২৫২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ম্যাচটি টাই হয়ে যায়। আফগানিস্তান মনে করছে, এটি তাদের কাছে জয়ের মতোই। বিগত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তান কতটা উন্নতি করেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল এশিয়া কাপে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশকে হারানোর পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমানে সমানে লড়াই করেছেন রশিদ খান, আসগর আফগানরা। দু'টি ম্যাচেই শেষ ওভারে অভিজ্ঞতার অভাবে হেরেছে আফগানরা। যা দেখে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে এশিয়ার অন্যতম ক্রিকেট শক্তিরূপে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে আফগানিস্তান। পরিসংখ্যানের বিচারে মঙ্গলবার দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচাট ছিল ডেভিড আর গোলিয়াথের যুদ্ধের মতো। দু'বারের বিশ্বকাপজয়ী 'টিম ইন্ডিয়া'র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সদ্য হামাগুড়ি দিতে শেখা আফগানিস্তানের লড়াই যে শেষ বল পর্যন্ত গড়াবে, তা অনেকের কল্পনার বাইরে ছিল। তবে ম্যাচ টাই হলেও, ক্রিকেটের জয় হয়েছে বলে অভিমত প্রাক্তন ক্রিকেটারদের। প্রায় দু'বছর পর দু'শোতম ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ পেলেও, জয় অধরা থাকায় কিছুটা হলেও বিরক্ত ধোনি। মূলত আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তিনি বেজায় ক্ষুব্ধ। জাভেদ আহমেদির বলে ফিল্ড আম্পায়ার মাহিকে এলবিডব্লু দিয়ে দেন। লোকেশ রাহুল আগেই রিভিউ নষ্ট করে ফেলেছিলেন। ফলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্দেহ থাকলেও ধোনির মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ইংল্যান্ড সফর থেকেই মাহির ব্যাটে রানের খরা চলছে। এশিয়া কাপেও তিনি প্রত্যাশা পূরণে এখন অবধি ব্যর্থ। ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ধোনি বড় রানের খোঁজে রয়েছেন। আফগানিস্তান ম্যাচকে তিনি বড় রানের মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত। আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোনি বক্তব্য, আমি আর কী বলব। সবাই তো দেখেছেন। আমি এসব নিয়ে মুখ খুলে জরিমানার মুখে পড়তে চাই না।' ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধোনি কখনো আগ্রাসন দেখান না। তবে আম্পায়ারিং নিয়ে তিনি মোটেই খুশি নন, সেটা ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আফগানিস্তানের প্রশংসা করে ধোনি বলেছেন, 'ওরা দারুণ উন্নতি করেছে। এশিয়া কাপের শুরু থেকেই আফগানিস্তান ভালো খেলছে। ওদের খেলা আমিও উপভোগ করছি। আমাদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তান ইতিবাচক ব্যাটিং করেছে। পরের দিকে উইকেট বেশ মন্থর হয়ে পড়েছিল। তবে আফগানিস্তানের বোলারদের লড়াই ছিল প্রশংসনীয়। তবে আমাদের শুরুটা যতটা ভালো হয়েছিল, সেটা পরের দিকে বজায় রাখতে পারিনি। বেশ কিছু শট সিলেকশন ভুল ছিল। তাছাড়া কেদারের রান আউট ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেছে। তবে আমরা যে ভাবে গোটা টুর্নামেন্টে ইতিবাচক মনোবভাব নিয়ে খেলছি, সেটা বজায় রেখেই ফাইনালে মাঠে নামব।'ফাইনালে তারা খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
null
শাস্তির মুখে ছিলেন ধোনি!
sports
https://www.ajkerpatrika.com/16556/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%A1%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A7%87
অ্যাস্ট্রাজেনেকা নেওয়া এসআইকে দ্বিতীয় ডোজে সিনোফার্মের টিকা দিলেন স্বাস্থ্যকর্মী
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে নৌ-পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজে সিনোফার্মের টিকা দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী। অথচ প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছিলেন তিনি।আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ওই এসআইয়ের নাম বিদ্যুৎ দাশ। তিনি আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।এসআই বিদ্যুৎ দাশ জানান, গত ১১ এপ্রিল তিনি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ নেন। পরে মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস পর গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) তাঁর ফোনে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এসএমএস আসে।আজ সকালে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে যান বিদ্যুৎ দাশ। এ সময় স্বাস্থ্যকর্মী জোৎস্না বিশ্বাস তাঁকে সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ করেন। পরে বিদ্যুৎ দাশ তাঁর টিকা কার্ড দেখে বুঝতে পারেন তাঁকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার স্থলে সিনোফার্মের ভেরোসেল দেওয়া হয়েছে।বিদ্যুৎ দাশ বলেন, 'টিকা নেওয়ার সময় নার্স জোৎস্না বিশ্বাসকে আমি বলেছি, প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড নিয়েছি। আমাকে যেনো দ্বিতীয় ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডই দেওয়া হয়। এমনকি আমি প্রথম ডোজ নেওয়ার কার্ডও তাঁকে দিয়েছি। কিন্তু পরে কার্ড হাতে নিয়ে দেখি তিনি আমাকে সিনোফার্মের টিকা দিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমি কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানিয়েছি। উনি বলেছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে যোগাযোগ করার জন্য।'এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনির হোসেন বলেন, 'বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি সিভিল সার্জন অফিসে বিষয়টি অবগত করেছি। সিভিল সার্জন অফিস থেকে বলা হয়েছে, উনাকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাঁকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর জন্যও বলেছেন তিনি।'জেলা সিভিল সার্জন ডা কেএম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'আমাকে বিষয়টি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানানো হয়েছে। আমরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।'উল্লেখ্য, কয়েকটি দেশে কোভিড টিকার মিশ্র ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জার্মানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজের সঙ্গে মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল মিশ্র ডোজ নিয়েছেন। গবেষণায়ও দেখা গেছে, মিশ্র ডোজে টিকার কার্যকারিতা বাড়ে। বাংলাদেশও বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
হবিগঞ্জ,টিকা,সিলেট বিভাগ,কোভিড–১৯,হবিগঞ্জ সদর,সিলেট,আজমিরীগঞ্জ
অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ নেওয়া এসআই বিদ্যুৎ দাশকে দ্বিতীয় ডোজে সিনোফার্মের টিকা দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী।
national
https://www.bd-pratidin.com/city-news/2020/03/02/507202
স্ত্রী-সন্তানের পর জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন অগ্নিদগ্ধ শহিদুলও
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের দিলু রোডে পাঁচতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্তান ও স্ত্রীর পর এবার মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ শহিদুল কিরমানী। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর শহিদুল মারা যাওয়ার মাধ্যমে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়াল। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিউ ইস্কাটনের দিলু রোডের একটি পাঁচতলা ভবনের গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের শিশু সন্তান রুশদিসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। আগুনে সে সময় শহিদুল কিরমানীর ৪৩ শতাংশ ও তার স্ত্রী রুশদির মা জান্নাতুলের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায়। এরপর তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জান্নাতুলের মৃত্যু হয়। আর তার স্বামী নিহত রুশদির বাবা শহিদুল কিরমানীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রবিবার সকালে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। সেখানে সোমবার ভোরে তিনি মারা যান। বিডি প্রতিদিন/কালাম
null
শহিদুল কিরমানী ও তার স্ত্রী জান্নাতুল।
national
https://samakal.com/bangladesh/article/18011093/রোহিঙ্গা-প্রত্যাবাসনে-ইউএনএইচসিআরকে-সম্পৃক্ত-করছে-বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউএনএইচসিআরকে সম্পৃক্ত করছে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএসএইচসিআর) সম্পৃক্ত করছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের এই সংস্থাটির সঙ্গে সরকারের একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বিফ্রিংয়ে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। এরআগে একই স্থানে দুই দফায় ৫২টি দেশের কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের এই উদ্যোগের সঙ্গে মিয়ানমার রয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা নীতিগতভাবে উদ্যোগের সঙ্গে একমত। তবে এখনই তারা ইউএনএইচসিআরকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে চান না। তরা রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায়।' কবে নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, 'তারিখ নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না; তবে আমরা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।' এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ কীনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশ চায়, রাখাইনের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে কূটনীতিকদের যেতে দেওয়া হোক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি দেখতে তিনি নিজেও সেখানে যেতে আগ্রহী। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে এরইমধ্যে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে মিয়ানমার সরকার চুক্তি করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালিসন ব্লেক ও ভারতের হাইকমিশনার হর্য বর্ধন শ্রিংলা। তারা তিনজনই রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রোহিঙ্গা,পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী
national
https://www.ajkerpatrika.com/12608/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AD-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2
নির্লোভ নিরহংকারী প্রতিভাবান শেখ কামাল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। আজ তাঁর ৭৩ তম জন্মদিন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে শেখ কামাল দ্বিতীয় ছিলেন। তিনি শাহীন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং' ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে শেখ কামাল সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। আমার স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে সেই অগ্নিঝরা গণ-আন্দোলনের স্মৃতি। যে আন্দোলনে শেখ কামালের প্রতিদিনের উপস্থিতি ছিল সকলের জন্য তুমুল উৎসাহব্যঞ্জক। এই আন্দোলনে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংগঠিত করে তিনি মিছিলসহ বটতলায় সমবেত হতেন। আমার পরম স্নেহভাজন ছিলেন শেখ কামাল। মনে পড়ে, ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সামরিক জান্তা সরকার ধর্মীয় উগ্রতার পরিচয় দিয়ে রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করে। শেখ কামাল তখন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীদের সংগঠিত করেন এবং রবীন্দ্রনাথের 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি খ্যাতিমান শিল্পী জাহিদুর রহিমকে দিয়ে বিভিন্ন সভা ও অনুষ্ঠানে গাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতার সন্তান তিনি, জন্ম থেকেই তাঁর ধমনিতে নেতৃত্বগুণ আর বাঙালি জাতীয়তাবোধের চেতনা। সংস্কৃতিমান শেখ কামালের প্রতিবাদের ভাষা ছিল রবীন্দ্র সংগীত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই বিশ্বকবির গান গেয়ে অহিংস প্রতিবাদের অসাধারণ উদাহরণ রেখেছেন।মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে হাতিয়ার তুলে নিয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ কামাল। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি ছিলেন শেখ কামাল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংগঠিত করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাঁর আশাবাদ ছিল, দেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের ছবিটাই পাল্টে দেবেন এবং দেশকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করবেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশ পুনর্গঠনে নিজের অসামান্য মেধা ও অক্লান্ত কর্মক্ষমতা নিয়ে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে ঝাঁপিয়ে পড়েন শেখ কামাল। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। সেখান থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছায়ানট থেকে সেতার শিক্ষার তালিম নেন। পড়াশোনা, সংগীতচর্চা, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় সদা-সর্বদা নিয়োজিত ছিলেন শেখ কামাল। অধ্যয়নের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তাঁর পদচারণায় ছিল মুখর। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল তাঁর বন্ধুদের সহযোগে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যদল 'ঢাকা থিয়েটার' এবং আধুনিক সংগীত সংগঠন 'স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী'। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে তিনি ছিলেন সুপরিচিত সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক এবং অভিনেতা। আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি দেশের ক্রীড়াজগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। 'স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী'র প্রতিষ্ঠাও তাঁকে অমরত্ব দান করেছে। প্রকৃতপক্ষে শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ। তিনি কখনো ব্যবসায়িক কার্যকলাপে জড়িত হননি, অনর্থক ছোটেননি অর্থের পেছনে।শাহীন স্কুলের ছাত্র থাকাকালে স্কুলের প্রতিটি খেলায় তিনি ছিলেন অপরিহার্য। এর মধ্যে ক্রিকেট ছিল তাঁর প্রিয়। তৎকালের অন্যতম উদীয়মান পেসার ছিলেন তিনি। 'আজাদ বয়েজ ক্লাব' তখন ছিল কামালদের মতো উঠতি প্রতিভাদের আশ্রয়স্থল। এখানেই শেখ কামাল প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলেছেন দীর্ঘদিন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে 'আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থা' প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার নামে সংগঠিত করেন ফুটবল দল 'ইকবাল স্পোর্টিং', আর ক্রিকেট, হকির দল 'ইস্পাহানি স্পোর্টিং'। পরে এসব দলের সমবায়ে নবোদ্যমে যাত্রা শুরু করে 'আবাহনী ক্রীড়া চক্র'। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি-এই খেলাগুলোতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল কামালের। তাঁর স্বপ্ন ছিল একদিন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশ হবে অপরাজেয় ক্রীড়াশক্তি। সত্যিই তিনি বেঁচে থাকলে সেটা সম্ভব ছিল। স্বপ্ন তাঁর দৃষ্টিসীমা ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয়েছিল বহু দূর অবধি। ফুটবলের উন্নতির জন্য ১৯৭৩ সালে আবাহনীতে বিদেশি কোচ বিল হার্টকে নিযুক্ত করেন। যোগ্যতা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের অসামান্য স্ফূরণে শেখ কামাল অল্প দিনেই বদলে দিয়েছিলেন সদ্য স্বাধীন একটা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্র। শুধু ক্রীড়াই নয়, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সব শাখাতেই ছিল তাঁর মুনশিয়ানা ও অসামান্য সংগঠকের ভূমিকা।শেখ কামালের নবপরিণীতা বধূ সুলতানা খুকু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। দেশজোড়া খ্যাতি ছিল তাঁর। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁর পরিচিতি ছিল এক প্রতিভাবান অ্যাথলেট হিসেবে। নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই যেদিন গণভবনে শেখ কামাল ও শেখ জামাল দুই ভাইয়ের বিয়ে হয়, সেদিন আমি সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। কারণ, ওই বছরের ১১ জুলাই আমার বড় ভাই পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মৃত্যুবরণ করেন। আমি তখন ভোলায়। বিয়ের দিন ভোলার পুলিশ স্টেশনে ফোন করে বঙ্গবন্ধু আমার খবর নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'জামাল-কামালের বিয়ের আসরে সকলেই আছে। শুধু তুই নাই।' কত বড় মহান নেতা যে, আমার মতো ক্ষুদ্র কর্মীর কথাও সেদিন তিনি ভোলেননি। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিশ্বাসঘাতক উচ্ছৃঙ্খল সেনাসদস্যের হাতে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও নববিবাহিতা দুই বধূ, দুই ভাই শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নির্মম মৃত্যুকে বরণ করতে হয়।জাতির পিতা যৌবনের ১২টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে শত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা কখনোই কোনো ক্ষেদোক্তি প্রকাশ করেননি। বরং পরিবারের সদস্যরা সেসব সগৌরবে মেনে নিয়ে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের অংশে পরিণত হয়েছেন। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, দেশ স্বাধীনের পর কুচক্রী মহল শেখ কামালের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অপপ্রচার চালাবার চেষ্টা করেছিল, যা ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবে টেকেনি।শেখ কামালের আচার-আচরণ কেমন ছিল, সে সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবুল ফজল রচিত 'শেখ মুজিব: তাঁকে যেমন দেখেছি' গ্রন্থ থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি। নাতিদীর্ঘ এই বইয়ের ৪৭-৪৮-এই দুই পৃষ্ঠাজুড়ে আছে একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখা। লেখাটির শিরোনাম 'শেখ কামাল: স্মৃতিচারণ'। তিনি লিখেছেন, '১৭ই মার্চ শেখ সাহেবের জন্মদিন। স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগ প্রতি বছর এ দিনটি পালন করে থাকে। ১৯৭৪-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য ঢাকার ছাত্রলীগ আমাকে অনুরোধ জানায়। আমি রাজি হলাম, তবে দিনে দিনে ফিরে আসতে চাই এ শর্তে। তারা সেভাবে বিমানের টিকেট পাঠিয়ে দিয়েছিল। ১৭ তারিখ ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে আমি চিন্তা করতে লাগলাম, ওরা আমাকে নিতে আসবে কিনা; এলেও আমি চিনতে পারব কিনা। ওদের কারও সঙ্গে তো আমার দেখা নেই।'...এক ধারে দেখলাম একটা ছিপছিপে গোঁফওয়ালা ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেশ লম্বা বলে সহজে চোখে পড়ে। ছেলেটাকে আমি চিনতে পারলাম না। লাউঞ্জের প্রবেশপথে ছেলেটি এগিয়ে এসে বলে: "আপনাকে নিতে এসেছি। " বলেই আমার হাত থেকে ব্যাগটি আমার আপত্তি অগ্রাহ্য করে নিজের হাতে নিয়ে নিল। নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করলাম: তুমি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এসেছ? "জি হ্যাঁ। " নম্র কণ্ঠে জবাব দিল ছেলেটি। ওর পেছনে পেছনে হেঁটে এসে একটা গাড়িতে উঠে বসলাম। ড্রাইভারের সিটে গিয়ে বসল ও নিজে এবং শুরু করল ড্রাইভ করতে। তার আগে ও জেনে নিয়েছে আমি কোথায় উঠব। গাড়িতে তৃতীয় ব্যক্তি নেই। কিছু দূর যাওয়ার পর আমার মনে হঠাৎ কৌতূহল হলো, জিজ্ঞাসা করলাম: তুমি কী করো? বলল: "অনার্স পরীক্ষা দিয়েছি সোশিয়োলজিতে। " ঢাকা থেকে? "জি হ্যাঁ। " শেখ সাহেবের সঙ্গে ছেলেটির দৈহিক সাদৃশ্য আমার মনে ধীরে ধীরে স্পষ্টতর হয়ে উঠেছিল। জিজ্ঞাসা করলাম: "তোমার নাম। " "শেখ কামাল। " "ও তুমি আমাদের শেখ সাহেবের ছেলে। "'এই ছিলেন শেখ কামাল। জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মধ্যে কোনো অহমিকাবোধ ছিল না। তিনি ছিলেন বিনয়ী ও মার্জিত। দাম্ভিকতা ছিল তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ। পরোপকারী, বন্ধুবৎসল ও মার্জিত শেখ কামালের বিনম্র আচরণে মুগ্ধ হতো সকলেই।পরিশেষে, কামালের শৈশবের একটি স্মৃতি উদ্ধৃত করছি। যে স্মৃতিকথাটি পাঠ করলে দুচোখ পানিতে ভরে আসে; অশ্রু সংবরণ দুঃসাধ্য হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'শেখ মুজিব আমার পিতা' শিরোনামের লেখায় এই স্মৃতি উল্লেখ করেছেন-'১৯৪৯ সালে আমার আব্বা গ্রেফতার হন। আমি তখন খুবই ছোট্ট আর আমার ভাই কামাল কেবল জন্মগ্রহণ করেছে। আব্বা ওকে দেখারও সুযোগ পাননি। একটানা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি বন্দি ছিলেন। সে সময় আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে আমার মা দাদা-দাদির কাছেই থাকতেন। একবার একটা মামলা উপলক্ষে আব্বাকে গোপালগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। কামাল তখন অল্প কথা বলা শিখেছে। কিন্তু আব্বাকে ও কখনও দেখেনি, চেনেও না। আমি যখন বারবার আব্বার কাছে ছুটে যাচ্ছি, আব্বা-আব্বা বলে ডাকছি ও শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। গোপালগঞ্জ থানায় একটা বড় পুকুর আছে, যার পাশে বড় খোলা মাঠ। ওই মাঠে আমরা দুই ভাইবোন খেলা করতাম ও ফড়িং ধরার জন্য ছুটে বেড়াতাম। আর মাঝে মাঝেই আব্বার কাছে ছুটে আসতাম। অনেক ফুল, পাতা কুড়িয়ে এনে থানার বারান্দায় কামালকে নিয়ে খেলতে বসেছি। ও হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, "হাসু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি। " কামালের সেই কথা আজ যখন মনে পড়ে আমি তখন চোখের পানি রাখতে পারি না।'ঘাতকের বুলেট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ঘাতকেরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে। তারা জানত জাতির পিতার সন্তানেরা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক-বাহক। সে জন্য তারা শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল-কাউকেই রেহাই দেয়নি। সেদিন জাতির পিতার দুই কন্যা বিদেশে থাকায় ঘাতকের বুলেট তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে আমরা দলীয় ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে শহীদের রক্তে ভেজা দলীয় পতাকা তুলে দিই। সেই পতাকা যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে হাতে তুলে নিয়ে জাতির পিতার আদর্শ সমুন্নত রেখে তিনি আজ দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে আসীন করার যে স্বপ্ন শেখ কামাল দেখতেন, সেই অসমাপ্ত কাজটিও তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় সাফল্যের সঙ্গে ঘটে চলেছে।তোফায়েল আহমেদ: আওয়ামী লীগ নেতা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিই-মেইল: []
মতামত,উপসম্পাদকীয়
শেখ কামাল।
opinion
https://www.prothomalo.com/world/বাসমতির-জিআই-নিবন্ধনের-সুযোগ-পেল-পাকিস্তান
বাসমতি চালের জিআই নিবন্ধনের সুযোগ পেল পাকিস্তান
ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে বাসমতি চালের নিবন্ধনের সুযোগ পেল পাকিস্তান। এই চাল নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ভারতের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে দেশটির। নিবন্ধনের সুযোগ পেয়ে সেই আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই বাসমতি চালকে নিজেদের পণ্য বলে দাবি করে আসছে। কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৭ সদস্যের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাসমতি চালকে নিজেদের পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করতে ভারতের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্য নিবন্ধন করাতে আইন অনুযায়ী সেটি ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) আইনের অধীনে সুরক্ষিত থাকতে হবে। পাকিস্তানের বাণিজ্য পরামর্শক আবদুল রাজ্জাক দাউদ টুইটারে বলেন, বাসমতি চালকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তান। জিআই অ্যাক্ট-২০২০-এর অধীনে বাসমতি চালকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করেছে। বাসমতি জিআই ট্যাগ পাওয়ায় ইইউতে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান শক্ত হবে। এর আগে বাসমতিকে পাকিস্তানের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ঠেকাতে গত সেপ্টেম্বরে ইইউর কাছে আবেদন করে ভারত। আবেদনে ভারত দাবি করে, বাসমতি হচ্ছে বিশেষ লম্বা সুগন্ধি চাল, যা উপমহাদেশের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। ওই অঞ্চল উত্তর ভারতের একটি অংশ হিসেবে আবেদনে দাবি করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বের ভারতের আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে পাকিস্তান। তারা একে ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ পণ্য হিসেবে যুক্তি তুলে ধরে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ৫ থেকে ৭ লাখ টন বাসমতি চাল রপ্তানি করে পাকিস্তান, যার মধ্যে ২ থেকে আড়াই লাখ টন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় যায়।
পাকিস্তান,এশিয়া,ভারত
ছবি: বাসমতি চাল
international
https://www.bhorerkagoj.com/2022/02/06/%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ae%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%95%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a7%87%e0%a6%a8/
কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই
উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মধ্য মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পী। সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। দিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি লতাকে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন অশীতিপর শিল্পী। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি। এর আগেও সঙ্কটজনক অবস্থায় একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু ভক্তদের আশ্বস্ত করে প্রত্যেকবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া মারাঠি ছবিতে। মুম্বাই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবিতে গান 'মজবুর' ছবিতে।
কিংবদন্তীতূল্য সংগীতশিল্পী,লতা মঙ্গেশকর
লতা মঙ্গেশকর
entertainment
https://samakal.com/whole-country/article/210874261/বরিশালে-ইউএনওওসির-বিরুদ্ধে-আদালতে-২-মামলার-আবেদন
বরিশালে ইউএনও-ওসির বিরুদ্ধে আদালতে ২ মামলার আবেদন
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সদরের ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম এবং উপ পরিদর্শক মো. শাজালাল মল্লিকের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক দুটি নালিশি মামলার আবেদন করা হয়েছে। বরিশাল সিনিয়র অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহর আদালতে রোববার নালিশি মামলা দুটির আবেদন করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ ওই অভিযোগ দুটি গ্রহণের পর তা আদেশের জন্য অপেক্ষামান রেখেছেন। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, দুটি মামলার আবেদনেই সদর ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা বাবুল হালদারের আবেদনে ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। আনসার সদস্যদের কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও আরও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের আবেদনে ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামকে। তৃতীয় আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালীর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজালাল মল্লিককে। শাহজালাল মল্লিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষে দায়ের করা মামলার বাদী। এ আবেদনেও পাঁচ আনসার সদস্যের নাম উল্লেখ না করাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়। আদালতে দায়ের করা মামলার ওই দুই আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা সরকারি চাকরির সুবাদে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দেশে অরাজকতার সৃষ্টির পাঁয়তারা করাই তাদের পেশা ও নেশা। আবেদন দু'টিতে বলা হয়, নগরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য সিটি করপোরেশনের সভায় নগরের বিভিন্ন এলাকার ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের কারণে ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে গেলে সদর ইউএনওর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নকর্মীদের মারপিট করেন। ঘটনাটি জেনে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। এসময় ইউএনও এবং তার আনসার সদস্যরা মেয়রকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ে। করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবপ্রাচীর তৈরী করে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে রক্ষা করেন। এতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এদিকে এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতোয়ালী মডেল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান ও অপর মামলার বাদী এসআই শাহজালাল মল্লিক। ওই দুটি মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে লাগানো বিলবোর্ড-ব্যনার বুধবার রাত ১০টায় অপসারণ করতে যায় সিটি করপোরেশরেন কর্মী পরিচয়ে একদল ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাধা দিলে তার সরকারি বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের।
বরিশাল,মামলার আবেদন,ইউএনও
ইউএনওর বাসভবনে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ( )
national
https://www.prothomalo.com/bangladesh/capital/৬-মাস-পর-সন্তানদের-গরুর-মাংস-খাওয়াতে-পারলেন-আলমগীর
৬ মাস পর সন্তানদের গরুর মাংস খাওয়াতে পারলেন আলমগীর
ছয় মাসের বেশি সময় পরে গরুর মাংস খেয়েছে ১৫ ও ১৭ বছরের দুই বোন। দীর্ঘদিন ধরে গরুর মাংস খাওয়ার জন্য ছোট বোনটি বায়না ধরেছিল বাবা মো. আলমগীরের কাছে। কিন্তু দিন যায়, মাস যায়। ইচ্ছা সত্ত্বেও গরুর মাংস আর কেনার সামর্থ্য হয়নি মো. আলমগীরের। প্রথম আলোয় গত শনিবার এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় 'সন্তানদের গরুর মাংস খাওয়াইতে মন চায়, কিন্তু সামর্থ্য হয় না' শিরোনামে। মূলত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রিং রোড ধরে শনিবার রিকশা চালাচ্ছিলেন মো. আলমগীর। রাস্তার পাশেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে জটলা দেখে থামেন তিনি। দেখেন, গাড়ির গায়ে লেখা-গরুর মাংস ৫৫০ টাকা কেজি। বিক্রেতাকে তিনি বলেছিলেন, টাকা নেই সঙ্গে। পরের দিন যদি বিক্রেতা আসেন, তাহলে তিনি কিনতে আসবেন। তখন মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেছিলেন, 'কয়েক মাস ধরে মেয়েটা বলছে, গরুর মাংস খাবে। ও ক্লাস এইটে পড়ে। রিকশা চালিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনলে সারা দিনের কামাই শেষ। প্রতিদিন কামাই দিয়ে তেল, চাল কিনতে হয়।' এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুজন আলমগীরকে আর্থিক সহায়তা করেন। সেই টাকা দিয়ে গতকাল সোমবার রাতে গরুর মাংস, পোলাওয়ের চাল কিনে আনেন মো. আলমগীর। আজ সন্ধ্যায় তিনি প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, 'নিজের সন্তানগুলোর কাছে মুখটা রক্ষা পেল। এক কেজি গোশত, পোলাওয়ের চাল এক কেজি, মসলাও কিনেছি। গতকাল (সোমবার) রাতেই রান্না করেছি। বাচ্চারা খুব খুশি হয়েছে। যেকোনো অসিলায় হোক খেতে পারলাম।' মূলত ছোট মেয়েটি তিন মাস ধরে গরুর মাংস খাওয়ার বায়না করছিল। অনেক অপেক্ষার পর পছন্দের বিরিয়ানি খাওয়া তার জন্য অনেক বড় কিছু বলে জানাল সে। মেয়েটি প্রথম আলোকে বলে, 'সম্ভবত ছয় মাস পর গরুর মাংস খেলাম। গরুর মাংস আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। আব্বুকে মাঝেমধ্যে বলতাম। দেখতাম, আব্বুর (অর্থনৈতিক) পরিস্থিতি খারাপ, তাই বেশি কিছু বলতাম না। আব্বুও মন খারাপ করত। কিন্তু বুঝতে দিত না। আমি অনেক বলার পর আব্বু শুধু বলত, আজকে না, কালকে। পরে আর বলতাম না।' আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মো. আলমগীরকে দুজন সহায়তা করেছেন। মিরপুর ১-এর একজন বাসিন্দা গরুর মাংস ও প্রয়োজনীয় মসলা কেনার জন্য এক হাজার টাকা দিয়েছেন। অন্যজন যুক্তরাজ্য থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন সন্তানদের ঈদ উপলক্ষে জামাকাপড় কিনে দিতে। মো. আলমগীর দুই সন্তান, স্ত্রী ও নিজের মাকে নিয়ে থাকেন মোহাম্মদপুরের লিমিটেড এলাকায়। তিনি জানান, কয়েক বছর আগে স্ট্রোক করার পর থেকেই শরীর অসুস্থ থাকে। একটি ভাতের হোটেল চালাতেন। কিন্তু বাকি দেওয়ায় লোকসানে পড়েন। চার লাখ টাকার বেশি ঋণ হয়ে যায়। এরপর কিছুদিন চটপটির দোকান চালিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। বছর দেড়েক ধরে রিকশা চালান। মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, 'আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে সবাই একটু অবহেলার চোখে দেখে। বর্তমানে অবহেলার পাত্র হয়ে আছি। তবে হালাল পথে আছি। দুর্নীতি না করে, অন্যের টাকা না মেরে খাচ্ছি না। হালাল রুজি করি, এটাই বড় কথা।'রিকশা চালিয়ে দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করেন মো. আলমগীর। তাঁর স্ত্রী মিরপুরের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন, যার পুরোটাই ঘরভাড়ার পেছনে চলে যায়। মো. আলমগীর বলেন, রিকশা চালিয়ে মাসে ১৫ হাজার টাকার মতো আয় হয়। মেয়ের পেছনে প্রতিদিন খরচ হয় ৪০ টাকা। স্ত্রীকে প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য দেন ৮০ টাকা। বাকিটা দিয়ে খাবারসহ অন্যান্য খুব টেনেটুনে চালাতে হয়।
মাংস,রাজধানী ঢাকা,রাজধানী
সুলভ মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি হওয়া দেখে শনিবার রিকশা থামিয়েছিলেন মো. আলমগীর। কিন্তু পকেটে টাকা না থাকায় সেদিন তাঁর মাংস কেনা হয়নি। প্রথম আলোয় খবর প্রকাশের পর দুজন তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। সেই টাকা দিয়ে সন্তানদের মাংস খাওয়ার আবদার মিটিয়েছেন এই রিকশাচালক
national
https://www.ajkerpatrika.com/167076/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A7%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A7%80
প্রথমবার জুটি বাঁধলেন রাজ-বুবলী
জুটি বাঁধলেন শরিফুল রাজ ও শবনম ইয়াসমিন বুবলী। 'দেয়ালের দেশ' নামে সরকারি অনুদানের একটি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করছেন তাঁরা। গত ২৪ মার্চ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছে।'দেয়ালের দেশ' সিনেমাটি বানাচ্ছেন মিশুক মনি। এটি তাঁর প্রথম সিনেমা। মিশুক এর আগে বিজ্ঞাপন তৈরি করেছেন। একটি নাটকও পরিচালনা করেছেন তিনি। ২০১৯ সালের শেষে কানাডার টরন্টো ফিল্ম স্কুল থেকে ফিল্ম মেকিংয়ের ওপর দুই বছরের স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। কানাডা থেকে ফিরে মিডিয়ায় কিছু কাজ করেছেন, সঙ্গে চলেছে সিনেমার প্রস্তুতি। পরিচালক মিশুক মনি জানান, 'দেয়ালের দেশ' দুই সময়ের গল্পের সিনেমা। বর্তমান সময়ের একটি ঘটনা নিয়ে গল্প চলতে থাকে। একটা সময় প্রায় সাত বছর আগের একটি ঘটনায় চলে যায় গল্প।অনেকটা গোপনেই 'দেয়ালের দেশ' সিনেমার শুটিং চলছে। শিল্পী ও কলাকুশলীরা বিস্তারিত কিছু বলেননি। সিনেমাটির নায়ক শরিফুল রাজ বলেন, 'পরিচালকের ইচ্ছা, শুটিং শেষ করে সবাইকে খবর দেবেন। আমরা শিল্পীরা সেভাবেই কাজ করছি। বুবলী কাজের ব্যাপারে খুব আন্তরিক। শান্ত মাথায় কাজ করেন। গত এক সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে এসে সেটাই দেখলাম।'বুবলী জানিয়েছেন, 'দেয়ালের দেশ' সিনেমায় দুজনের চরিত্র বেশ জটিল। বুবলী বলেন, 'আমাদের দেশের সিনেমার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের চরিত্র করা বেশ কঠিন। তেমন চরিত্রেই আমি আর রাজ অভিনয় করছি। আশা করছি, খুব ভালো একটি সিনেমা দেখতে পাবেন দর্শক।'আজ শেষ হবে 'দেয়ালের দেশ' সিনেমার প্রথম ধাপের শুটিং। ঈদের পর শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের কাজ।
বিনোদন,সিনেমা,বাংলা সিনেমা,ছাপা সংস্করণ,আজকের বিনোদন
শরিফুল রাজ ও বুবলী। ফেসবুক থেকে
national
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2020/10/21/579239
পূজায় সুমন কল্যাণের উপহার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এবারের পূজায় একটি বিশেষ গান নিয়ে আসছেন গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুমন কল্যাণ। পূজা উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে সুমনের বিশেষ গান-ভিডিও 'সই'। নিজের শহর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গানটি গেয়েছেন তিনি। আর গানটির কথা লিখেছেন চট্টগ্রামেরই সন্তান গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। গানটির ভিডিওতে সুমন কল্যাণের 'সই' হয়ে অভিনয় করেছেন আনিলা তানজুম। ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মো. রাসেল আবির। আর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঈশা খান দূরে। গায়ক সুমন কল্যাণ বলেন, 'মায়ের সূত্র ধরে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গাইতে সব সময়ই ভালো লাগে। এবারের গানটি শ্রোতাদের জন্য পূজার উপহার। গানের সঙ্গে ভিডিও মিলিয়ে ভালো একটা কাজ হয়েছে। গানের উৎসবের আমেজ পাবেন শ্রোতারা। চট্টগ্রামের শ্রোতারা পাবেন বাড়তি আনন্দ।' বিডি-প্রতিদিন/শফিক
null
আনিলা তানজুম ও সুমন কল্যাণ
entertainment
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/হেফাজতের-হরতাল-নারায়ণগঞ্জের-কাউন্সিলর-ইকবালকে-আটক
হেফাজতের হরতাল: নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর ইকবালকে আটক
হেফাজতে ইসলামের গত ২৮ মার্চের হরতালে নারায়ণগঞ্জে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে র্যাব-১১। গতকাল মঙ্গলবার রাত একটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিমউদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক, সানারপাড় ও শিমরাইল এবং চিটাগাং রোড এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় র্যাব ও পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ৬টি মামলা করে। আটক ইকবাল হোসেন ওই মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি। হরতালে পুলিশ-হেফাজতের দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে দুজন। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৮টি গাড়ি। ভাঙচুর করা হয়েছে দুটি গণমাধ্যমের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ শতাধিক যানবাহন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তিন কিলোমিটার এলাকা সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ওই দিন ৪ হাজার ২০০টি শটগান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। ওই ঘটনায় পরের দিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে ৫টি এবং র্যাব বাদী হয়ে ১টিসহ মোট ৬টি মামলা করে। ওই ৬ মামলায় ১৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও ২ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
হরতাল,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,হেফাজতে ইসলাম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন
politics
https://www.ajkerpatrika.com/85091/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AE
বিমানবন্দর চালু করতে বগুড়ায় পরিদর্শন টিম
উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়া। এ জেলার সঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলার সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও দীর্ঘ বছরেরও চালু হয়নি বগুড়া বিমানবন্দর। অবকাঠামো নির্মাণের প্রায় দুই যুগ পর পর এবার বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এই কমিটি গঠন করে।সোমবার সকালে বগুড়া বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। এর আগে রোববার তাঁরা বগুড়ায় আসেন। এই কমিটির সঙ্গে বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য (বগুড়া-৭) মো. রেজাউল করিম বাবলু।বেবিচক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন উপসচিব ইশরাত জাহান পান্না। কমিটির সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক (এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) মো. মাসুদ রনা, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. আমিনুল হাসিব, সহকারী পরিচালক (সিএনএস) প্রশান্ত কুমার সাহা ও সিনিয়র ড্রাফটস-ম্যান কবির হোসেন।এই কমিটি সরেজমিনে বগুড়া বিমানবন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। পরে তাঁরা প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ রেজাউল করিম বাবলু। এর আগে চলতি বছরের গত ১ মার্চ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠান সাংসদ বাবলু। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে এ কমিটি গঠন করে বেবিচক।জানা গেছে, বগুড়ায় বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য ১৯৮৭ সালে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সে সময় তা নানা জটিলতায় আটকে যায়। পরে ১৯৯১-৯৬ সালে বিএনপি সরকারের শেষ দিকে বগুড়ায় বিমানবন্দর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় এবং ২২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনও হয়। ১৯৯৫ সালে এরুলিয়া এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে ১০৯ দশমিক ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রকল্পের আওতায় রানওয়ে, কার্যালয় ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সব অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়। ২০০০ সালের দিকে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে বিমান আর ওড়েনি। পরে সেখানে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করা হয়। বর্তমানে সেখানে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।জানতে চাইলে সংসদ সদস্য বাবলু বলেন, 'বগুড়ার বিমানবন্দর চালু করতে কয়েকবার আমি সংসদের কথা বলেছি। পরে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে বিমানবন্দর চালু করার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করি। তিনি আমার কথায় বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু করার গুরুত্ব বুঝতে পারেন। এবং পরবর্তীতে আমি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে বগুড়া বিমানবন্দর বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠাই।'সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সাংসদ বাবলু বলেন, 'পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বগুড়া বিমানবন্দর পরিদর্শন করে ঢাকায় ফিরে গেছেন। আমিও তাদের সঙ্গে ঢাকাতে এসেছি। পরে তারা তাদের কাজে চলে গেছেন।'
বগুড়া,রাজশাহী বিভাগ,কমিটি,বিমানবন্দর,সংসদ সদস্য
এমপি বাবলুর সঙ্গে বেবিচক টিম।
national
https://www.ajkerpatrika.com/140850/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A6%AD%E0%A7%9F%E0%A6%A1%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4
বাংলাদেশিদের আরও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা উচিত
২০১৬ বিপিএলে খুলনা টাইটানসের হয়ে বিপিএল খেলতে এসে প্রথমবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচিত হন বেনি হাওয়েল। এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলছেন ফ্রান্সে জন্ম নেওয়া ইংলিশ অলরাউন্ডার। বাংলাদেশে এসে প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলার সুখবর পেয়েছেন। গত পরশু আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বোরহান জাবেদপ্রশ্ন: প্রথমবার আইপিএলে সুযোগ পেয়েছেন। নিশ্চয়ই খুব আনন্দিত?বেনি হাওয়েল: আনন্দিত তো বটেই, আইপিএল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। অন্য রকম অনুভূতি কাজ করছে। নিলাম থেকে ডাক পাওয়ার পর চমকে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে পরিশ্রম, পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অবশেষে প্রাপ্তি হিসেবে রূপ নিয়েছে। পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে যুক্ত হতে তর সইছে না।প্রশ্ন: ব্যাটে-বলে অসাধারণ বিপিএল কাটছে সাকিব আল হাসানের। আইপিএল প্রসঙ্গ যেহেতু এলই, সাকিবের মতো একজনের দল না পাওয়াটা আপনাকে কতটা অবাক করেছে?হাওয়েল: সাকিবের বিষয়ে আমি আসলে কিছু বলতে চাই না।প্রশ্ন: সে না হয় না বললেন, বিপিএল নিয়ে তো কথা বলতে সমস্যা নেই। বিপিএল আপনার ক্যারিয়ারে বড় একটা অংশজুড়ে থাকবে। ২০১৬ সালে খুলনা টাইটানসের হয়ে প্রথমবার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে আপনার পদচারণ...হাওয়েল: একদম তাই। ২০১৬ সালে খুলনা টাইটানসে খেলেছি। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সেটা ছিল আমার প্রথম সুযোগ। একটা নতুন জগতে পা দিয়েছিলাম। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সে বছর ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে আমার যাত্রাটা দারুণ ছিল। তারপর বাংলাদেশে আসি। এ দেশের ক্রিকেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করি এবং দারুণ সব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি। এখানকার আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সেবার মনে হয় টুর্নামেন্টের অর্ধেক খেলেছিলাম এবং খুবই ভালো করেছিলাম। এতটুকু পথ পাড়ি দিয়ে আজকের আমি হয়ে ওঠার পেছনে এটার (বিপিএল) ভূমিকা অনন্য।প্রশ্ন: মূলত বোলিংটা আপনার শক্তির জায়গা। এবার বিপিএলে ব্যাটিং (১২ ম্যাচে ২০৭ রান) দিয়েও নজর কেড়েছেন, বিশেষ করে শুরুর ম্যাচগুলোতে উইকেটে এসেই দ্রুত রান তুলেছেন। সে অর্থে বোলিংটা (১২ ম্যাচে ৪ উইকেট) ভালো হয়নি।হাওয়েল: হ্যাঁ, বোলিংই আমাকে চিনিয়েছে। এবার বিপিএলে ব্যাটিং ভালো হয়েছে। গত দুই বছর ব্যাটিং নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছি। রান করতে পারাটা সব সময় আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। এখানে ভালো করতে পেরে খুশি। তবু মনে করি বোলিং আমার মূল শক্তির জায়গা। সামনে যখনই সুযোগ আসবে, বোলিংয়ে ভালো করার লক্ষ্য থাকবে। আশা করি, সামনে দুটোতেই একসঙ্গে ভালো করতে পারব।প্রশ্ন: শুনেছি জুলিয়ান উডের সঙ্গে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি এবারের বিপিএলে সিলেট সানরাইজার্সের পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে এসেছেন। উডের সঙ্গে কাজ করেই কি আপনার পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতি হয়েছে?হাওয়েল: জুলি (জুলিয়ান উড) আমার পাওয়ার হিটিংয়ের উন্নতিতে অনেক সহায়তা করেছেন। কোচ হিসেবে তিনি উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ব্যাটারদের কাছ থেকে পাওয়ার হিটিংয়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও শক্তির জায়গাটা বের করে আনতে পারেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করে আমার পাওয়ার হিটিং সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার আয়ত্ত করেছি, বিশেষ করে ড্রাইভের সময় আমার হেড পজিশন নিয়ে জুলি কাজ করেছেন।প্রশ্ন: টুর্নামেন্টের শেষ দিকে হাই স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার বিপিএলের উইকেট কেমন মনে হচ্ছে?হাওয়েল: এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনা আমাদের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্য প্রায় তাড়া করে ফেলেছিল। দিন শেষে অবশ্য শেষ হাসিটা আমরাই হেসেছি। এখানকার উইকেট কিছুটা ধীরগতির। বেশির ভাগ উইকেটে স্পিনাররা বেশি সহায়তা পেয়ে থাকে। স্পিনারদের মানও ভালো। ওদের সামলানো একটু কঠিন। তবে এটা দারুণ চ্যালেঞ্জ। একজন ব্যাটারকে আরও দক্ষ করে তোলে।প্রশ্ন: বিপিএলের শেষ ধাপে এসে বিদেশিরা দাপট দেখাচ্ছেন। এখানে স্থানীয় খেলোয়াড়েরা কোথায় পিছিয়ে আছেন বলে মনে হয়?হাওয়েল: সত্যি বলতে, ওরা অনেক প্রতিভাবান। ব্যাপারটা অনেকটা মনস্তাত্ত্বিক। চাপ ঝেড়ে ওদের আরও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা উচিত। আমার কাছে মনে হয়, ওরা নিজের মধ্যে অনেক বেশি চাপ নিয়ে ফেলে, যেটা তাদের পিছিয়ে দেয়। এটা তাদের পারফরম্যান্সেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। একটা জয় কিংবা হারের পর ভক্তরা অনেক বেশি আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। সেই চাপটা খেলোয়াড়দের নেওয়া উচিত না। মাথা থেকে চাপ সরিয়ে যদি স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে, শিগগিরই উন্নতি করবে।প্রশ্ন: স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কে কে আপনাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছেন?হাওয়েল: ওদের স্কিল ও পেস বৈচিত্র্য সব সময় দুর্দান্ত। আমাদের দলের আফিফকে ভালো লেগেছে। মাথা ঠান্ডা রেখে অধিনায়কত্ব করতে পারে। সে বেশ দক্ষ ও ভয়ডরহীন মানসিকতার। দুই ফাস্ট বোলার মৃত্যুঞ্জয় ও শরীফুলও অসম্ভব প্রতিভাবান। ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আলোকিত করবে।প্রশ্ন: গত অক্টোবরে ৩৪-এ পা দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে প্রথমবার আইপিএলে সুযোগ পাওয়ার সুখবর পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন এখনো নিশ্চয়ই দেখেন?হাওয়েল: সব সময় ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্নটা দেখা কখনোই বন্ধ হবে না।
খেলা,ক্রিকেট,আইপিএল,বিপিএল,বাংলাদেশ ক্রিকেট
বিপিএলে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন বেনি হাওয়েল।
sports
https://www.prothomalo.com/business/industry/বিধিনিষেধে-চালু-আছে-৩০৩-কারখানা
বিধিনিষেধে চালু আছে ৩০৩ কারখানা
ঈদের ছুটি শেষ। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোরতম বিধিনিষেধ চলছে। এ সময় অধিকাংশ শিল্পকারখানা বন্ধ থাকলেও অল্প কিছু উৎপাদন চালাচ্ছে। তার অধিকাংশই অবশ্য বিধিনিষেধের আওতামুক্ত শিল্পকারখানার তালিকাভুক্ত। চলমান বিধিনিষেধে সারা দেশে কত শিল্পকারখানা চালু রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় ৩০৩টি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম গতকাল রোববার সচল ছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে, সেখানে ১০৩টি কারখানা খোলা। তা ছাড়া চট্টগ্রামে ৬৫, নারায়ণগঞ্জে ৪৩,খুলনায় ৩৯, ময়মনসিংহে ৩১ এবং সাভার-আশুলিয়ায় চালু কারখানার ২২টি। শিল্প পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনায় মোট শিল্পকারখানার সংখ্যা ৭ হাজার ৮২৪। এর মধ্যে বেশির ভাগই তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান। তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ ও বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ৭৩৩। সব মিলিয়ে ৭ হাজার ৮২৪টি শিল্পকারখানার মধ্যে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ গতকাল খোলা ছিল। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে চলতি বছরের এপ্রিলে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও রপ্তানিমুখী পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা সচল ছিল। সর্বশেষ গত ২৮ জুন শুরু হওয়া সীমিত ও পরে ১ থেকে ১৪ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধেও পোশাকসহ অন্যান্য শিল্পকারখানা চালু ছিল। তবে গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া 'কঠোরতম বিধিনিষেধে' কয়েকটি খাত ছাড়া প্রায় সব ধরনের শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে। এবারের কঠোরতম বিধিনিষেধের বিষয়ে ১৯ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপনে চামড়া খাত, খাদ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ওষুধ এবং করোনা প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনে নিয়োজিত শিল্পকারখানাকে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখা হয়। শিল্প পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩৪ ক্যাটাগরির পণ্য উৎপাদনের জন্য ৩০৩টি কারখানা গতকাল চালু ছিল। তার মধ্যে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ওষুধ, খাদ্য, অক্সিজেন, বিদ্যুৎ, চামড়া, চিকিৎসা যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী কারখানার পাশাপাশি বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত সরঞ্জাম, প্রসাধনী, সিমেন্ট, ইস্পাত, প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক কারখানাও চলছে। যদিও সংখ্যাটি খুবই কম। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো চলার কথা নয়। চালু থাকা ৩০৩টি কারখানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৭টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। তারপর খাদ্য ও পানীয় উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে ৩৮টি। আটা ও ময়দার মিল চালু আছে ৩৭টি। মাছের খাদ্য উৎপাদনে নিয়োজিত ৩৬টি কারখানা চলছে। মাছ প্রক্রিয়াজাতকারী ১৫টি কারখানাও খোলা। এ ছাড়া মুরগির ফার্ম ১২, বিস্কুটের ১০, অক্সিজেন উৎপাদনকারী ৯টি, বিদ্যুতের ৭টি, চামড়ার ২টিসহ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত খাতের কারখানা চালু রয়েছে। শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিধিনিষেধের আওতামুক্ত না হলেও ইস্পাত খাতের তিনটি কারখানা চলছে। তার মধ্যে দুটি গাজীপুরে ও খুলনায় একটি। আবার খুলনার একটি সিমেন্ট কারখানাও চালু রয়েছে। এ ছাড়া সরঞ্জাম তৈরির ৯টি কারখানা, ৭টি রাসায়নিক, ১টি গ্লাস, প্রসাধনী তৈরির ১টি, ডিটারজেন্ট উৎপাদনকারী ১টি এবং ২টি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কারখানাও চালু রয়েছে।
শিল্পখাত,সিমেন্ট খাত,শিল্প প্রতিষ্ঠান
বিধিনিষেধে চালু আছে ৩০৩ কারখানা
economy
https://www.bhorerkagoj.com/2019/05/12/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a7%ab-%e0%a6%98/
নারীকে গুলি করে হত্যার ৫ ঘণ্টার মধ্যে 'বন্দুকযুদ্ধে' খুনি নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়া থানা এলাকায় ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা এক নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এরপর মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মাথায় সন্দেহভাজন খুনি শাহ আলম 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত নারীর নাম বুবলী আক্তার (২৮)। তার স্বামীর নাম আকরাম হোসেন। তিনি মহানগরীর বাকলিয়া থানা এলাকায় বজ্রঘোনা মদিনা মসজিদের পাশের একটি বাড়িতে থাকতেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঘরে ঢুকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টার মাথায় ভোর রাত সাড়ে ৩টায় পুলিশের সঙ্গে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন বুবলীর সন্দেহভাজন খুনি শাহ আলম। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আবদুর রউফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শাহ মো. আবদুর রউফ বলেন, 'বন্দুকযুদ্ধে বাকলিয়া থানার ওসিসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।' বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, শাহ আলম নামে এলাকার এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে হাছান নামে এক যুবকের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে হাছানকে খুঁজতে শাহ আলম রাতে হাছানের খালার বাসায় হানা দেয়। এ সময় হাছানকে না পেয়ে খালাতো ভাই রুবেলকে গুলি করার চেষ্টা করলে রুবেলের বড় বোন বুবলি আক্তার বাধা দেয়। এতে সন্ত্রাসী শাহ আলম বুবলিকে গুলি করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বুবলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, বুবলী আক্তার কিছু দিন আগে শশুরবাড়ি থেকে বাকলিয়ার বাবার বাসায় বেড়াতে আসেন। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন- নুরুল আলম ও নবী। ঘটনার পরপরই তাদের চান্দগাঁও থানার বরিশাল বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়।
null
সিসিটিভি ফুটেজে পিস্তল হাতে সন্দেহভাজন খুনি শাহ আলম
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2018/01/13/297058
সাবেক প্রেমিকের অণ্ডকোষ কামড়ে ছিঁড়ে নিলেন প্রেমিকা!
যৌন তাড়নায় সাবেক প্রেমিকের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক মধ্যবয়সী নারীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের এডিনবরায়। ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায়, ৪৩ বছরের নুঞ্জিয়া ডেল ভিসিকো মাটিতে পরে রয়েছেন। তার মুখে রক্ত। প্রাক্তন প্রেমিক মার্সেলো পালমার অণ্ডকোষ কামড়ে ছিঁড়ে দিয়েছেন তিনি। মার্সেলো পালমারের দাবি, রাতে বাইরে ঘোরাফেরার পর দলবল নিয়ে তার ঘরে আসেন নুঞ্জিয়া। পোশাক খুলে বিবস্ত্র হন তিনি। এরপর তার থ্রি সামের দাবি করেন। কিন্তু, মার্সেলো থ্রি সামে সম্মত হননি। এরপরই ওই নারী ঝাঁপিয়ে পড়েন মার্সেলোর উপরে। দু'জনের মধ্যে হাতাহাতির চলার মাঝেই মার্সেলোর অণ্ডকোষে কামড় দেন নুঞ্জিয়া। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি মার্সেলো। তার অণ্ডকোষ স্থাপনের চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। বিডি প্রতিদিন/১৩ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত
null
অভিযুক্ত মার্সেলো পালমার
international
https://www.prothomalo.com/politics/বাইরে-রাখা-যাবে-না-নির্বাচন-করব-খালেদা-জিয়া
বাইরে রাখা যাবে না, নির্বাচন করব: খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, 'এই পার্লামেন্ট রেখে নির্বাচন হবে না। আর হাসিনার অধীনেও নির্বাচন হবে না। আমরা বিএনপি, নির্বাচনী দল। আমরা নির্বাচন করব। বাইরে রাখতে চাইলেই রাখা যাবে না, নির্বাচন করব আমরা।' আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া এ মন্তব্য করেন। ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। বেলা দুইটার সময় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের মূল ফটক তালাবদ্ধ ছিল। মিলনায়তন বরাদ্দ পাওয়ার পরেও সেটি তালাবদ্ধ থাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর বেলা তিনটার দিকে দলের নেতা-কর্মীরা মিলনায়তনের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিএনপির নেতারা বলেন, তালা না খুললে তাঁরা সেখান থেকে যাবেন না। এরপর বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া মিলনায়তনের সামনে এসে উপস্থিত হন। তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাঁর গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছিলেন। মিলনায়তন বরাদ্দ পাওয়ার পরও কেন তা খুলে দেওয়া হয়নি, বিষয়টি জানতে চান খালেদা জিয়া। এরপর তিনি তাঁর গাড়িতে অবস্থান করেন। দলীয় প্রধানের অপেক্ষার সময় দলের নেতারা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বিএনপির এক নেতা বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে মাইকে ঘোষণা করেন যে কর্তৃপক্ষ বিএনপি চেয়ারপারসনের সম্মানে মিলনায়তনের তালা খুলে দিয়েছে। এরপর দলের নেতা-কর্মীরা মিলনায়তনে প্রবেশ করে। বিকেল পাঁচটা ৪০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া আলোচনা সভার মঞ্চে যোগ দেন। খালেদা জিয়া বলেন, 'এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তাদের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। আজকে পার্লামেন্ট বলে কিছুই নেই। হাসিনারা ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্লামেন্ট রেখে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এরা কেউ ভোটই পায়নি। এরা পার্লামেন্টের মেম্বার থাকার যোগ্য নয়। কাজেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।' তিনি বলেন, 'নির্বাচন হবে। আমরা নির্বাচন করব। কিন্তু সে নির্বাচনটি হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। হাসিনার অধীনে নয়। সেই নির্বাচনই এই দেশে হবে। কারণ, সারা পৃথিবী বুঝে গেছে হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, হবে না। সেটা মানুষ বুঝেছে।' আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে আমরা বাঁচতে পারব নাদেশের পরিবর্তন আনতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আমরা আর বাঁচতে পারব না। সে জন্য যে করেই হোক আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। অন্য কোনো সরকার আসতে হবে। জনগণের যারা কল্যাণ চায়, ভালো চায়-তাদের সরকার মানুষ দেখতে চায়। সে জন্যই মানুষ একটি পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। কেন বলছি, প্রথম কথা-হাসিনার অধীনে আমরা যতগুলো নির্বাচন দেখেছি, কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়েছে কেউ বলবে না। বিদেশিরাও বলবে না। হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং সুষ্ঠু হবেও না ভবিষ্যতে।' এক ব্যক্তির ইচ্ছায় সবকিছু চলছে দেশ এক ব্যক্তির ইচ্ছায় চলছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, আজ এক ব্যক্তির ইচ্ছায় সবকিছু চলছে বলেই কোনো কিছু চলছে না। দেশ আজ অচল। দেশ আজ সামনের দিকে না গিয়ে পেছনের দিকে যাচ্ছে। মানুষের অবক্ষয় হচ্ছে। এর জন্য দায়ী হলো এই আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার এই দেশে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে, গুম-খুন করেছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মানুষের জানমালের স্বাধীনতা হরণ করেছে। এই হলো আওয়ামী লীগ। এই দলকে দেশের মানুষ কখনো বিশ্বাস করে না। জনগণের ভোটে তারা কখনো ক্ষমতায় আসেনি। কারও না কারও ঘাড়ে ভর দিয়ে, পা দিয়ে তারা ক্ষমতায় বসেছে। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় বসেনি। সে জন্য তাদের ভয়। এ জন্যই তারা বিএনপিকে ভয় পায়। বিএনপি বারবার জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে গেছে। এমন অবস্থা, লবণ দিয়ে ভাত খাওয়ারও উপায় নেইআওয়ামী লীগের 'পকেটের মধ্যে' উন্নয়নের জোয়ার বইছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, 'দেশে উন্নয়নের কোনো জোয়ার নেই। গ্রাম দেশে যান, মানুষের কোনো কাজ নেই। অভাব-অনটন-দুঃখ। জিনিসপত্রের দাম এতই বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি।...২০১৪ সালে তো কোনো ইলেকশন হয়নি, কাজেই তখন আর ভোটের জন্য মানুষের কাছে যাওয়ারও দরকার হয়নি, বলারও দরকার হয়নি। এই আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে বলেছিল না, ১০ টাকা সের চাল খাওয়াব? বিনা মূল্যে সার দেব, ঘরে ঘরে চাকরি দেব। কিন্তু তার কোনটি বাস্তবায়ন করেছে তারা? আজকে ১০ টাকা কেজি চালের জায়গায় ৭০ টাকা কেজি চাল। ১২০ টাকা পেঁয়াজ। দেশের মানুষ কী খাবে তাহলে? লবণ দিয়ে ভাত খাওয়ারও উপায় নেই, এমন অবস্থায় চলে গেছে।' আগে গোলাগুলি করে ব্যাংক ডাকাতি হতো, এখন বোঝা যায় না সরকার এই আমলে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে না দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'এখন পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে। কিন্তু পদ্মা সেতু এই আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। আর সেই সেতুতে ওঠার জন্য...একটি যদি জোড়াতালি দিয়ে বানায়, সেই সেতুতে কে উঠতে যাবেন না। অনেক রিস্ক (ঝুঁকি) আছে।' ব্যাংক খাতে ডাকাতি হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'আমরা তো এর আগে শুনেছিলাম ব্যাংক ডাকাতি হতো গুলি করে। আর এখন ব্যাংক ডাকাতি এমন সুপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে, কেউ টের পাচ্ছে না। পরে খবরের কাগজে আমরা দেখছি, জানছি কী সুন্দরভাবে ঠান্ডা মাথায় ব্যাংকগুলোর সব টাকা লুট করেছে। এগুলো কার টাকা? জনগণের টাকা। আওয়ামী লীগ এলেই কেন শেয়ারবাজারে ধস নামে? শেয়ার মার্কেটের টাকা কোথায় যায়?' প্রধান বিচারপতির নিয়োগ বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'প্রধান বিচারপতি এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কারণ এখনো মতলবটা তাদের ভালো নয়, সে জন্যই। কিন্তু মওদুদ সাহেব বলেছেন যে একদিনও নাকি খালি রাখা যায় না প্রধান বিচারপতির পদ। কাজেই আমরা বলতে চাই, হাসিনা যা চাইবে, সেটা না করলেই তাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। তার নামে মামলা হবে। তাকে জেলে যেতে হবে, অত্যাচারিত হতে হবে। যদি এক ব্যক্তি সবকিছু করে, তাহলে এক ব্যক্তির শাসন তো এ দেশে চলতে পারে না। এ জন্য তো এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করেনি। এ দেশের মানুষ করেছিল যখন পাকিস্তানিরা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা দিচ্ছিল না। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্যই তো এ দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল। কিন্তু সে অধিকার তারা (সরকার) কেড়ে নিয়েছে।' জঙ্গি আ.লীগের সৃষ্টিসরকার কথায় কথায় জঙ্গির ভয় দেখায় অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন এই আওয়ামী লীগ জঙ্গি সৃষ্টি করেছিল। জঙ্গিদের বড় বড় নেতা, শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাই-সব তাদের আত্মীয়স্বজন। জঙ্গি তো তারা সৃষ্টি করেছে। কথায় কথায় কিছু হলেই জঙ্গির ভয় দেখায়। কিন্তু এই জঙ্গি আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গি নয়। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। তারা শান্তিতে থাকতে চায়, তারা জঙ্গি হতে চায় না। কিন্তু তাদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জঙ্গি বানানো হচ্ছে। বিদেশিদের কাছে জঙ্গি দেখানো হচ্ছে। দাড়ি-টুপিওয়ালা হলেই সে জঙ্গি হয়ে যায়।' আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, 'জিয়াউর রহমানের ডাকে দেশের ছাত্র, যুবক, সাধারণ মানুষ সবাই সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের সাহায্য করেছে, আমাদের লোকজনকে থাকার অনুমতি দিয়েছে, তাদের সে জন্য ধন্যবাদ। আমরা বন্ধু হিসেবে সব সময় মনে রাখব। কাজেই তাদের (ভারত) বন্ধুর মতো দেখতে চাই। আমরা ভালো সম্পর্ক চাই। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি। এটা দিয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান। যেটা দেওয়ার কথা ছিল আওয়ামী লীগের, তাদের নেতাদের দিয়ে সেধেও পারা যায়নি।' পুলিশের দোষ নেই, তাদের ব্যবহার করা হচ্ছেপুলিশের কর্মকাণ্ড বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'আমরা তো শৃঙ্খলা মেনেই চলতে চাই। কিন্তু শৃঙ্খলা ভাঙেই তারা, আওয়ামী লীগ ভাঙে; তার লোকজনকে দিয়ে করায় এবং পুলিশকে প্রতিটি কাজে ব্যবহার করে। পুলিশ খারাপ নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ খারাপ করছে তাদের। পুলিশকে আমরা বলব, আপনারা জনগণের সেবক। এই দেশের মানুষ আপনাদের কাছে সবাই সমান। কী সরকারি দল, কী বিরোধী দল-সবার কথা আপনাদের চিন্তা করে সেভাবে আপনারা এগোবেন। আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই কিংবা আপনাদের ওপর আমাদের কোনো রাগও নেই। আপনারা আপনাদের মতো কাজ করে যাবেন, কিন্তু আমি বলি-এই যে কথায় কথায় আমার ছেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়! আজও অনেক ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এই যে কথায় কথায় আমাদের ছেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া, সেগুলো বন্ধ করেন। ঘরে ঘরে গিয়ে ছেলেদের ধরা, এগুলো বন্ধ করেন। আর যাদের জেলখানায় রেখেছেন, এখন তাদের ছেড়ে দিন।' ছাত্রদল কীভাবে কর্মসূচি পালন করে তা দেখতে গোয়েন্দা নিয়োগ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ছাত্রদের যেসব সমস্যা, সেসব বিষয়ে নিয়ে কাজ করতে হবে। কথা বলতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও কথা বলতে হবে। বিদেশ থেকে ভালো ভালো ডিগ্রি নিয়ে এসেও অনেকে এখন চাকরি পায় না। বিএনপি শিক্ষিত বেকারদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবে। শুধু চেহারা দেখালে আর ছবি ওঠালে হবে না উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, '১০-১২ জন লোক নিয়ে ছবি ওঠাল, আমি রাস্তায় ছিলাম-আমি আন্দোলনে ছিলাম-এগুলো আর চলবে না। আমরাও বিকল্প ব্যবস্থা করেছি। তোমরা কীভাবে চলছ, কর্মসূচিগুলো কীভাবে পালন করছ, সেগুলো দেখার জন্য আমরা গোয়েন্দা নিয়োগ করেছি। বিএনপি নেতৃবৃন্দও তার মধ্যে (নজরদারি) থাকবে। কেউ বাদ যাবে না।' ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন প্রমুখ।
বিএনপি,রাজনীতি,খালেদা জিয়া
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রমনা, ঢাকা, ২ জানুয়ারি। ছবি: সাজিদ হোসেন
politics
https://www.prothomalo.com/bangladesh/capital/শিক্ষার্থীদের-আত্মহত্যাবিরোধী-শপথ
শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যাবিরোধী শপথ
আত্মহত্যাবিরোধী শপথ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলেছেন, করোনাকালে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হওয়ায় মানুষের বিভিন্ন ধরনের নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যা কমে আসবে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে আত্মহত্যাবিরোধী এক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শপথের আগে এ বিষয়ে একটি শোভাযাত্রা করে সংগঠনটির সদস্যরা। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান শান্তা তাওহীদা। তিনি বলেন, শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি প্রত্যেক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। মনের যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। তরুণেরা আত্মহত্যা নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম চালালে সমাজে আত্মহত্যা কমানো যাবে। আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলেছে। করোনার প্রভাবের পাশাপাশি আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হওয়ায় মানুষের মধে বিভিন্ন ধরনের নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর ফলেই আত্মহত্যার সংখ্যায় এ পরিবর্তন হয়েছে। আত্মহত্যা রোধ করতে অন্যদের পাশাপাশি তরুণদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে। আঁচল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামিরা আক্তার বলেন, আঁচলের জরিপে উঠে এসেছে অনিশ্চয়তা, ক্যারিয়ারকেন্দ্রিক দুশ্চিন্তা, সম্পর্কগত কারণ, আর্থিক সমস্যা, পড়াশোনা, মাদক, পারিবারিক সমস্যাসহ আরও বেশ কিছু কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চায়। নিজেদের ও আশপাশের মানুষের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সবার। অনুষ্ঠানে ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এস আমানুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,আত্মহত্যা,করোনাভাইরাস,স্বাস্থ্য,উচ্চশিক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শনিবার আত্মহত্যাবিরোধী কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
national
https://www.prothomalo.com/business/market/ডিএসইতে-সূচক-কমল-আরও-৫০-পয়েন্ট
ডিএসইতে সূচক কমল আরও ৫০ পয়েন্ট
সূচকের দরপতন অব্যাহত রয়েছে শেয়ারবাজারে। আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫০ পয়েন্ট। অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮৫৫ পয়েন্টে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১১৯ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ২ হাজার ৭৮ পয়েন্টে। গত কার্যদিবস লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স বেড়েছিল ৮ পয়েন্ট। এর আগের কার্যদিবস সূচকটি কমেছিল ৪৩ পয়েন্ট। ডিএসইতে আজ মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার, যা গত কার্যদিবসের চেয়ে কিছুটা বেশি। গত কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আজ দর বেড়েছে ৪৯ টির, কমেছে ৩০৩ টির ও অপরিবর্তিত আছে ২৫ টির দর। ডিএসইতে আজ লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি, বিএটিবিসি, মালেক স্পিনিং, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড ও ডেলটা লাইফ। দর বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো সেনা কল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক, ডেলটা লাইফ, বিএটিবিসি, জেনেক্স ইনফয়েস, কেটিএল, রহিমা ফুড, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স, নিউ লাইন ক্লথিং লিমিটেড ও আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে সিএসইতে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আজ দর বেড়েছে ৬৪ টির, কমেছে ২০৭ টির ও অপরিবর্তিত আছে ১৭ টির দর।
ডিএসইএক্স,সিএসই,ডিএসই
ডিএসইতে সূচক কমল আরও ৫০ পয়েন্ট
economy
https://www.bd-pratidin.com/country/2019/05/25/426721
সাংবাদিক হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে শেরপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
সাংবাদিক এহসান রেজা ফাগুনের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শেরপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার শেরপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের থানা মোড়ে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শেরপুর ইয়ুথ রিপোর্টার্স ক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস, শেরপুর কলেজ ডিবেটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। নিহত অনলাইন পত্রিকা প্রিয় ডট কমের সহ-সম্পাদক এহসান রেজা ফাগুন, শেরপুরে কর্মরত এনটিভির সাংবাদিক কাকন রেজার বড় ছেলে। তিনি গত ২১মে অনলাইন পোর্টাল জাগোনিউজে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে শেরপুর ফেরার পথে ট্রেনে দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হন। পরে জামালপুরে রেল লাইনের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ দিনই ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে কবর দেয়ার সময় তার পরিচয় সনাক্ত করে তার পরিবার। বিডি-প্রতিদিন/শফিক
null
থানা মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
national
https://www.ajkerpatrika.com/130283/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0
মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো নিয়ে পল নিক্সনের পাল্টা প্রশ্ন
বিপিএলে গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে টস করেছেন নাঈম ইসলাম। আগের চার ম্যাচের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ একাদশে থাকার পরও অধিনায়কত্ব করছেন না। চট্টগ্রামের হঠাৎ এমন অধিনায়ক বদল অবশ্য প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে দেশে ফিরে গেছেন দলটির ইংলিশ কোচ পল নিক্সন।চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইয়াসির আলমের দাবি, কোচ পল নিক্সনের নির্দেশে 'চাপমুক্ত' রাখতে মিরাজকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো নিয়ে প্রশ্নে অবশ্য যারপরনাই অবাক নিক্সন। পাল্টা প্রশ্নে ইংলিশ কোচ যা বললেন তাতে রহস্য আরও বাড়ছে! নিক্সনের প্রশ্ন, 'কে এটা করেছে (পরিবর্তন)? টি-টেন এবং বিপিএলের কারণে লম্বা সময় দল (লেস্টারশায়ার) থেকে দূরে ছিলাম। এখন আমি দেশে ফিরে যাচ্ছি লেস্টারশায়ারের দায়িত্ব নিতে।' ইংলিশ কাউন্টি দল লেস্টারশায়ারের প্রধান কোচ নিক্সন। লেস্টারশায়ার থেকে সময় নিয়ে বিপিএলে চট্টগ্রামের হয়ে কাজ করতে এসেছেন তিনি। গতবারও দলটির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছিলেন সাবেক ইংলিশ উইকেটকিপার-ব্যাটার। তবে জরুরি ডাকে বিপিএলের মাঝপথেই দেশে ফিরতে হলো তাঁকে। বিপিএলে বাকি অংশে চট্টগ্রামের প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকবেন শন টেইট। দলটির বোলিং কোচ হয়ে এসেছিলেন অজি গতিতারকা। চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে নিক্সনের ব্যাপারে জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ডে গেলেও দলের সঙ্গে অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন নিক্সন। মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইয়াসির জানান, 'যাওয়ার আগে কোচ একটা নির্দেশিকা দিয়ে গেছেন। তাঁর মতে, মিরাজ অনেক চাপে আছেন। খেলোয়াড় হিসেবে সে দুর্দান্ত। খেলোয়াড় হিসেবে সেরাটা পেতে চাই বলে তাকে চাপমুক্ত রাখতে চাইছি। তাকে চাপমুক্ত রেখে একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে (নাঈম ইসলাম) দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।'
খেলা,ক্রিকেট,বিপিএল,বাংলাদেশ ক্রিকেট,চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হঠাৎ অধিনায়কত্বে বদল প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
sports
https://www.ajkerpatrika.com/33774/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%87%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8
বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তায় ইইউর প্রশ্ন
উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস বা জিএসপি প্লাসের আওতায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নানা সুবিধা পায়। বাংলাদেশও এ সুবিধা পায়। শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন সন্তোষজনক না হওয়ায় বাংলাদেশের এ সুবিধা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আপত্তি তুলেছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি ইইউর রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তবে সৃষ্ট জটিলতা সমাধান করে সুবিধা পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ ইইউর কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে। এলডিসি থেকে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের চূড়ান্ত উত্তরণ ঘটবে। তখন বর্তমান জিএসপি আইন অনুযায়ী ৩ বছর ট্রানজিশন টাইম পাওয়ার কথা রয়েছে। তাই ২০২৯ সালের পর ইইউতে বাংলাদেশ যেন শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।ভোলা-৩ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সব চেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ইইউতে ১৭ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ৯৭৪ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
বাণিজ্য,ইউরোপীয় ইউনিয়ন,ছাপা সংস্করণ,ঢাকা সংস্করণ
বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তায় ইইউর প্রশ্ন
national
https://www.bd-pratidin.com/mixter/2018/05/04/327614
ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের স্বপ্ন ছেড়ে তরুণীর হাতে রাইফেল!
স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে কখনও কখনও অনেক বেশি পার্থক্য দেখা যায় আর তাই যেন ফের প্রমাণ হয়ে গেল ১৯ বছর বয়সী ফেইগির ক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বেড়ে ওঠা ফেইগি স্মালোউইৎজ হতে চেয়েছিলেন জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার কিন্তু ভাগ্যে তার জন্য বোধ হয় অন্যরকমই কোন গল্প ছিল তাই জিউইশ ডে স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন করে ফেইগি যুক্ত হল ইসারায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগে তবে এই নতুন জীবনযাপনের প্রথম ১ বছর প্রশিক্ষণ পর্ব খুব একটা সহজ ছিল না তার কাছে। তিনি জানান, হামাগুড়ি দেওয়া, সারারাত জেগে থাকা, ১০ মিনিট ঘুমের পরই ফের জেগে যাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করা, এমনই বিভিন্ন কাজ করতে হয়েছে তাকে তবে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে গেলে তার জীবন যে অনেক আরামদায়ক এবং অন্যরকম হত, কিন্তু আরও কিছু করে দেখানো যায় তা বোধ হয় প্রমাণ করা যেত না বলে মনে করেন ফেইগি তবে অস্ত্রচালনা এবং মানুষকে রক্ষার দায়িত্ব এখন যেন ১৯ বছরের ফেইগির কাছে সবথেকে বড় বিষয়, আর এতেই খুশি সে বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর
null
ফেইগি স্মালোউইৎজ
miscellaneous
https://www.bd-pratidin.com/entertainment/2021/09/07/688510
দুঃসহ অভিজ্ঞতার এক বছর পূর্ণ করলেন অর্জুন কাপুর
"এক বছর হয়ে গেল। আপনারা ভাবছেন কিসের অ্যানিভার্সারি? কোনও সুখবরের এক বছর নয়। এক বছর আগে আমার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল।" নিজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ঠিক এই ক্যাপশন দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর। শেয়ার করেছেন তার কঠিন দিনের কথা। পেশার জন্য নিজেকে ফিট রাখেন অর্জুন। শরীরচর্চা করা তার নেশার মতো। কিন্তু করোনার পরে ফিটনেস রুটিনে অনেক বদল এসেছে বলে জানিয়েছেন অর্জুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ আর বিশ্রামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়েছেন অর্জুন। প্রতিদিন ফিটনেস ট্র্যাকে আগের মতোই ফেরার চেষ্টা করেছেন। প্রতিদিন ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছেন। অনলাইন ট্রেনিং সেশনে প্রফেশনলের সাহায্য নিয়েছেন। এখন তিনি নিজে যে পরিস্থিতিতে আছেন, তাতে তিনি খুশি বলে জানিয়েছেন অর্জুন। তার কথায়, "শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য ওজন কমানো সম্ভব হচ্ছিল না। অনেকেই হয়তো জানেন না, দীর্ঘদিন ধরে ওবেসিটিতে ভুগছিলাম। ওজন কমানো সহজ ছিল না। কিন্তু না জেনে সমালোচনা করেন অনেকেই। দর্শক অভিনেতার এক রকম চেহারা দেখতেই পছন্দ করেন। তবে যারা আমাকে বিশ্বাস করেন তাদের কাছে এবং নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছি, এটাই অনেক।" অর্জুন আরও জানান, তিনি ফিট থাকতে চেয়েছিলেন। অন্য কেউ যেটা একমাসে করে ফেলবেন, শারীরিক সমস্যার জন্য তার হয়তো সেই একই কাজ করতে দুই মাস সময় লাগে। নিজের এই চেহারা পাওয়ার জন্য গত এক বছর ধরে টানা পরিশ্রম করেছেন। এই সময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি এটা বিশ্বাস করতে শিখেছি, কিছুই অসম্ভব নয়। আর বডি শেমিং তো এখন সংস্কৃতির অঙ্গ। শুধু আশা করতে পারি, আরও ভাল সমাজ আমরা তৈরি করতে পারব। একজন অভিনেতার উপর প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করার চাপ থাকে বলে জানিয়েছেন অর্জুন। যার প্রভাব পড়ে শরীরেও। তিনি বলেন, যখন আমার ছবি আমি যতটা ভেবেছিলাম, ততটা সাফল্য পাচ্ছিল না, নেগেটিভিটি আমাকে ঘিরে ধরেছিল। তার প্রভাবেও শরীর খারাপ হয়েছিল। তখন প্রতিটি দিন গুণতাম। অর্জুন মনে করেন, তার এখনকার চেহারা, কম ওজন যদি দর্শকের ভাল লাগে, তার নিজের যদি ভাল লাগে, তিনি মেনে করার চেষ্টা করবেন। লকডাউন তাকে নিজেকে চিনতে সাহায্য করেছে। অনেক রকম পজিটিভ জিনিস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সবথেকে বড় কথা যারা তাকে ভালবাসেন, যারা তার যে জায়গাটা প্রাপ্য, তা তাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন, তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন বলে জানান অভিনেতা। বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
অর্জুন কাপুর
অর্জুন কাপুর
entertainment
https://www.ajkerpatrika.com/10161/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF
রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি
একটি পুরোনো ঘটনা দিয়েই শুরু করি। ১৯৯৩ সালের ঘটনা। বিএনপি ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরবে বলে আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছেও বিস্ময়কর ছিল। কারণ, সাংগঠনিক শক্তির বিবেচনায় বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে ছিল। ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতেই বিএনপিকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনের ফলাফল স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নেননি।তিনি ওই নির্বাচনকে 'সূক্ষ্ম কারচুপি'র নির্বাচন বলে অভিহিত করেছিলেন। অন্যদিকে ওই নির্বাচন সম্পর্কে অপরাপর রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং পাবলিক পারসেপশন ছিল ভালো। মনে করা হচ্ছিল, নির্বাচনটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদ নির্বাচনব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছিলেন, সাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল বলে অনেকেই মনে করেছেন। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ফলাফলকে স্বাগত না জানানোর ফলে রাজনীতিতে যে অস্বস্তি এবং বিদ্বেষ ও অনৈক্যের সূচনা হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তা আর না কমে বরং নানা যুক্তিসংগত কারণে ক্রমাগত বেড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি এখন এক বড় কষ্টকল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়।ওই সময় আমি সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে একটি রাজনৈতিক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য ধরে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছিলাম, যা আওয়ামী লীগের উগ্র সমর্থকদের পছন্দ হয়নি। একদিন সন্ধ্যায় যায়যায়দিন অফিসে একটি টেলিফোন কল আসে। আমিই রিসিভ করি। অপর প্রান্ত থেকে আমার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে নাম বলতেই অত্যন্ত হেঁড়ে গলায় চিৎকার করে অশ্লীল গালাগাল করে বলা হলো, বাংলাদেশে থাকতে হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবে না।প্রথমে কিছুটা হতভম্ব হলেও দ্রুত সামলে নিয়ে আমার পক্ষে যতটুকু কঠোর হওয়া সম্ভব ততটুকু কঠোর কণ্ঠেই টেলিফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিই। তবে বিষয়টি আমার খারাপ লাগে। আমি আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। নিজের বিবেচনাবোধ থেকেই লেখালেখি করি। কোনো লেখা কোনো দলের বিরুদ্ধে গেলে সমর্থকেরা তেড়েফুঁড়ে ওঠেন, পক্ষে গেলে কেউ অবশ্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন না।অসহিষ্ণুতা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ মনে করেন, এর জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। আবার কেউ মনে করেন, বিএনপির কারণেই দেশে হিংসা-বিদ্বেষ বেড়েছে। আমার মনে হয়, বিএনপির দায় বেশি হলেও আওয়ামী লীগ দায়মুক্ত নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে বিএনপি যতটা নির্দয়, নিষ্ঠুর; আওয়ামী লীগ ঠিক ততটা না হলেও রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে সৌজন্য-শিষ্টাচার তিরোহিত হওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের কোনোই ভূমিকা নেই-তা বলা যাবে না। আওয়ামী লীগ করে খুচরা অপরাধ, বদনাম হয় বেশি। বিএনপির অপরাধ পাইকারি; কিন্তু বদনাম কম। আমাদের জনমনস্তত্ত্বের এটা একটি বিশেষ দিক যে, আওয়ামী লীগের কাছে মানুষ ভালোটা বেশি চায়। বিএনপির কাছে প্রত্যাশা ভালো-মন্দ মিলিয়ে। বলা হয়, বিএনপি খারাপ করেছে বলে আওয়ামী লীগ কেন খারাপ করবে?আওয়ামী লীগ যদি প্রতিহিংসা বা বিরোধী শক্তি নির্মূলের রাজনীতি করত, তাহলে আজ দেশে আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তির অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। তার মানে, আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কেউ কেউ প্রতিহিংসাপরায়ণ হলেও দলগতভাবে আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, সংঘবদ্ধ ঘাতক চক্রের ছাতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে-এমন দৃষ্টান্ত খুব বেশি দেওয়া যাবে না।স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই যদি দেখা যায়, তাহলে কি এটা বলা যাবে যে, আওয়ামী লীগ কখনো প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছিল? হত্যা-খুনের রাজনীতি বঙ্গবন্ধুর আমলে কি আওয়ামী লীগ বেশি করেছে, না আওয়ামী লীগের বিরোধীরা বেশি করেছে? তখন বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অথচ আওয়ামী লীগের এমপি-নেতারা খুন হয়েছেন একের পর এক। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দিলে, কী না হতে পারত তখন। কিন্তু তিনি উদারতা দেখিয়েছেন। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। তাই প্রতিহিংসা নয়, তিনি অনুসরণ করেছেন সংসদীয় গণতন্ত্রের পথ। সংসদে তখন আওয়ামী লীগের ব্রুট মেজরিটি। অথচ প্রথম সংসদে ন্যাপের গণপরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই বাধাহীনভাবে সংসদ কাঁপিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন।কেউ হয়তো বলবেন বঙ্গবন্ধুর আমলে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারের কথা। রক্ষীবাহিনী বাড়াবাড়ি করেনি-এটা বলা যাবে না। তবে সদ্য স্বাধীন দেশে যারা স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, যারা একের পর এক থানা লুট, পাটের গুদামে আগুন দিয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, তাদের দমনে নমনীয়তা দেখানোর সুযোগ ছিল কি? পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশ কি ফুল ছড়িয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করে?বঙ্গবন্ধুর আমলে 'হাজার হাজার' রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে হত্যা করার যে ঢালাও অভিযোগ করা হয়, তাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক কলাম লিখেছেন সাংবাদিক মাহবুব কামাল, যিনি একসময় জাসদের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তাঁর চ্যালেঞ্জ ছিল, মুজিব আমলে হাজার হাজার তো দূরের কথা, এক হাজার নিহত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর নাম-ঠিকানা কেউ দিতে পারলে তিনি যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। কোনো রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, গবেষক তাঁর চ্যালেঞ্জ গ্রহণে এগিয়ে আসেননি।তার মানে কী এই যে, বঙ্গবন্ধুর আমলে কোনো অন্যায় এবং বাড়াবাড়ি হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে তখনকার তিনটি বড় অঘটন হলো:এক. ১৯৭৩ সালের পয়লা জানুয়ারি ভিয়েতনামের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণের ফলে মতিউল-কাদেরের মৃত্যু এবং অনেকের আহত হওয়ার ঘটনা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাপ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।দুই. ১৯৭৩ সালে স্বাধীন দেশে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলের কয়েকজন প্রার্থীকে বলপ্রয়োগ করে পরাজিত করার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ উঠেছিল। অন্যদিকে কুমিল্লার একটি আসন থেকে খন্দকার মোশতাক আহমদকে পরাজিত হতে থাকা সত্ত্বেও তাঁর ব্যালট বাক্স ঢাকায় এনে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ভুলের বড় মাশুল আওয়ামী লীগকে দিতে হয়েছে।তিন. নকশাল নেতা সিরাজ সিকদার পুলিশি হেফাজতে নিহত হওয়ার ঘটনাটিও আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক ইমেজে কালি লেপন করেছে। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে তো শুধু আওয়ামী লীগের মার খাওয়ার ইতিহাস। আবারও বলি, খুচরা কিছু হত্যা বা সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা ব্যাপক বদনামের ভাগীদার হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুনি কিংবা প্রবল আওয়ামীবিরোধী কোনো ব্যক্তির গায়ে আওয়ামী লীগ কাঁটার আঁচড়ও দিতে পারেনি বা দেয়নি। বিএনপি এবং এরশাদ আমলে আওয়ামী লীগ যতটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে, তার বদলা যদি আওয়ামী লীগ নিতে চেষ্টা করত, তাহলে দেশে রক্তের গঙ্গা বয়ে যেত।উল্টো দিকে, বিএনপির ইতিহাসটা কেমন? আওয়ামী লীগ ভক্ত টেলিফোনে আমাকে ঝাড়ি দিয়েছেন। আর বিএনপির এক পাতিনেতা আমার এক লেখার জন্য যায়যায়দিন অফিস থেকে আমাকে তুলে নিতে এসেছিলেন মাইক্রোবাসবোঝাই সশস্ত্র ক্যাডার নিয়ে। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে-পরে ভয়াবহ সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে লেখার অপরাধে আমাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত কী নৃশংস শাসন কায়েম করেছিল, আমরা তা দিব্যি ভুলে বসে আছি।বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতারোহণ এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রতিটি ধাপই ছিল রক্তাক্ত। তিনি তাঁর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য কত মানুষকে হত্যা করেছেন, সেনাবাহিনীতে কার্যত গণহত্যা চালিয়েছেন-সেসব নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হতে দেখা যায় না।খালেদা জিয়ার দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় নেতা হত্যার শিকার হয়েছেন। দেশে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে। তারপর আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে জীবন দিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েছে?হ্যাঁ, আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী বাড়াবাড়ি করেন। ইদানীং বড় বড় দুর্নীতির সঙ্গেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের নাম জড়িত থাকার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলো অব্যাহতভাবে চলতে থাকলে আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হবে। আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ড বহু চোখ নজরদারিতে রেখেছে। আওয়ামী লীগের ভেতরেও আছে আওয়ামী লীগের শত্রু। তাই কেউ ফেসবুকে বা অন্য কোনো প্রচারমাধ্যমে সরকার বা সরকারি দলের কারও নিন্দা-সমালোচনা করলেই তার ওপর ঝাঁপিয়ে না পড়ে, তাকে দেশছাড়া করার হুমকি না নিয়ে নিজেদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করাই ভালো।দেশটাকে কোনো দলই নিজেদের খাস তালুক না ভেবে যদি সব মানুষের নিরাপদ বাসস্থান হিসেবে ভাবতে অভ্যস্ত হয়, তাহলে হয়তো অনেক বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। বিএনপি যে আজ বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বে 'চিপায়' পড়ে আছে, তার একটি বড় কারণ ক্ষমতার অপব্যবহার। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, ক্ষমতার শক্তি দেখিয়ে জয় করার চেষ্টা কোনো কালেই সফল হয়নি। মানুষকে ভালোবাসার শক্তি এবং মানুষকে অতিরিক্ত ভালোবাসার দুর্বলতাই আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে এখনো 'জনগণমন অধিনায়ক' করে রেখেছে। ভালোবাসা কেউ কারও কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে না, ছিনিয়ে নিতে পারে না। প্রতিহিংসা পরিহার করে মানুষকে ভালোবাসার ধারা দেশের রাজনীতির প্রধান ধারা হয়ে উঠুক-এটাই প্রত্যাশা।লেখক: সহকারী সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
মতামত,উপসম্পাদকীয়
রাজনীতিতে অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি
opinion
https://www.bhorerkagoj.com/2021/10/25/%e0%a6%85%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a6%e0%a6%be/
অপারেশন থিয়েটারে খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। তার শরীরে ছোট একটি অপারেশন করা হচ্ছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এদিকে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসক সূত্র মতে, খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। বর্তমানে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে কিডনি সমস্যা বেড়েছে, রক্তের হিমোগ্লোবিনেরও ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে আবার থেমে থেমে জ্বর আসায় একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, গত রবিবার লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি। রাত সোয়া ৯টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করেন শর্মিলা সিঁথি। এরপর বের হন রাত ১১টার। বর্তমানে তিনি খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন বলেও জানা গেছে। বিএনপি ও বিভিন্ন সংস্থার সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। খালেদা জিয়ার জন্য তিনি কিছু ফলমূল সঙ্গে করে নিয়ে যান। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, তিনি এসেছেন এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আর কখন গেলেন তাও জানি না। তবে ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়ে আজ বিকেল ৪টায় গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে চেয়ারপাসনকে দেখতে এভার কেয়ার হাসপাতালে যান। গত ১২ অক্টোবর জ্বর আসায় খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে টানা ৫৪ দিন একই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
null
খালেদা জিয়া।
national
https://samakal.com/bangladesh/article/1908830/শুভেচ্ছ-বিনিময়-করবেন-রাষ্ট্রপতি-ও-প্রধানমন্ত্রী
ঈদ শুভেচ্ছ বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। রাষ্ট্রপতি ঈদের দিন সোমবার সকাল ১০টা থেকে বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, বিচারক, বিদেশি কূটনীতিক, তিন বাহিনীর প্রধান, বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান হবে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে। ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ, সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী, রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১১টা থেকে একই স্থানে বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব ও সমমর্যাদার অন্যান্য বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও ঢাকায় ঈদ করবেন। অন্যদিকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সকাল ৮টায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদ জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,ঈদ শুভেচ্ছ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/05/02/%e0%a6%b8%e0%a6%ac-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%8d/
সব কোর্ট খুললে করোনা সংক্রমণ বাড়বে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে যদি হাইকোর্টের সব বেঞ্চ ভার্চুয়ালি খুলে দেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার লোকের সমাগম হবে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। রবিবার (২ মে) আপিল বিভাগে এক মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এ আশঙ্কার কথা জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, ঢাকা জজ কোর্টে দেখলাম হাজার হাজার লোক। একজনের শরীরের সঙ্গে আরেকজন লেগে আছেন। আমার কাছে এ সংক্রান্ত ভিডিও এখনও আছে। আমরা কি করব? আমরা যদি এখানেও ভার্চুয়ালি সব কোর্ট ওপেন করি, আমাদের এখানেও অন্তত ডেইলি তিন হাজার লোকের সমাগম হবে। আমাদের কোর্টের ভেতরে জায়গা হয় না। মানুষ এসে ঈদগাঁ মাঠে, কোর্টের বিভিন্ন জায়গায় বসে থাকে। এ সময় বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, গতকাল ভরতের সুপ্রিম কোর্টে করোনায় একদিনে তিনজন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মারা গেছেন। প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা এখন কি করব? এখন যদি সব কোর্ট ভার্চুয়ালি ওপেন করি অন্তত প্রতিদিন তিন হাজার লোক আসবে। আমরা তো চাই কোর্ট চলুক। মানুষের আরজেন্সি আছে। জরুরি বিষয়গুলো অবশ্যই শুনব। আপনারা ঢাকা কোর্টের ভিডিও দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। সেদিন ঢাকা কোর্টে ৫০ হাজারের মতো লোক ছিল। তখন সিনিয়র আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বলেন, যেগুলো আমরা কাগজে দেখি, বন্ধুদের কাছে শুনি মার্কেটেও ভয়াবহ অবস্থা। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি তো চাই সব কোর্ট ভার্চুয়ালি চলুক। বাসায় বসে কোর্ট পরিচালনা করুক। কিন্তু লোকজন যে চলে আসে। এফিডেভিট করতে আসবে, এটা করতে আসবে, সেটা করতে আসবে। আমাদের আইনজীবীদেরও তো সাংঘাতিক অসুবিধা। আমি তো লইয়ার থেকেই এখানে এসেছি।
null
হাইকোর্ট।
national
https://www.ajkerpatrika.com/163244/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97%C2%A0
ডিবি পরিচয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
আশিকুর রহমান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ডিবি পরিচয়ে মেস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে আজিমপুরের একটি মেস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনটিই জানিয়েছেন আশিকুরের রুমমেট মো. মুহসিন।মুহসিন বলেন, 'আমি আর আশিকুর একই মেসে থাকি। রাতে আমাদের পাশের বাসা থেকে হিজবুত তাহরিরের কয়েকজনকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে আশিকুরকেও তারা নিয়ে যায়।' তিনি বলেন, 'হিজবুত তাহরির সঙ্গে আশিকুরের কোনো সম্পর্ক নেই। কেন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বলা হয়, তাঁকে জিজ্ঞেস করে ছেড়ে দেওয়া হবে।'তবে ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি রাজীব আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমাদের টিম এরকম কোনো অপারেশন করেনি।'এ বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ওই এলাকায় আমাদের কোনো অপারেশন করা হয়নি। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, 'আমাদের প্রক্রিয়ায় আমরা বিষয়টা খোঁজ নিচ্ছি। রাষ্ট্রীয় কোনো কারণে যদি আমাদের শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়া হয় আর সে যদি নিরীহ হয়, তাহলে হয়রানির শিকার যেন হতে না হয় তার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানব।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,পুলিশ,অপরাধ,ঢাকা বিভাগ,শিক্ষার্থী,আজিমপুর,অভিযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/08/31/%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%ae%e0%a6%a6-%e0%a6%95%e0%a7%9f%e0%a6%b2/
তাহিরপুরে ভারতীয় মদ, কয়লা ও চুনাপাথর জব্দ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে চোরাই পথে আসা ভারতীয় মদ, কয়লা ও চুনা পাথর জব্দ করেছে বিজিবি। সুনামগঞ্জ ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাতে ট্যাকেরঘাট বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১২৯৮/৯-এস এর নিকট হতে উপজেলার শ্রীপুর (উ.) ইউনিয়নের বড়ছড়া নামক স্থান হতে ১১বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে। একই সময়ে অপর আরেক অভিযানে বালিয়াঘাট বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ১২৯৭/৬-এস এর নিকট হতে একই ইউনিয়নের বালিয়াঘাটা নামক স্থান হতে ৮ হাজার পিস ভারতীয় নাসির বিড়ি জব্দ করে। এছাড়াও ট্যাকেরঘাট বিওপির টহল দল একই সময়ে সীমান্ত পিলার ১২৯৮/৭-এস এর নিকট হতে ট্যাকেরঘাট নামক স্থান হতে ১শ ঘনফুট ভারতীয় চুনাপাথর জব্দ করে। অপরদিকে ট্যাকেরঘাট বিওপির টহল দল গত শনিবার সকালে সীমান্ত মেইন পিলার ১১৯৯ এর নিকট হতে বড়ছড়া নামক স্থান হতে ১২শ কেজি ভারতীয় কয়লা জব্দ করে। সুনামগঞ্জ ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাকসুদুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত ভারতীয় মদ, বিড়ি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয় এবং কয়লা ও চুনাপাথর শুল্ক কার্যালয় সুনামগঞ্জে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
null
জব্দকৃত পাথর
national
https://www.bhorerkagoj.com/2022/01/29/%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%9c/
খুলনাকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল বরিশাল
বরিশাল ফরচুনের ১৪২ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। আন্দ্রে ফ্লেচার এবং সৌম্য সরকার শুরুতেই বিদায় নিলে চাপে পড়ে দল। চাপ সামলানোর আগেই দলীয় ৪০ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় খুলনা। দলের চরম বিপদে একাই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান আগের ম্যাচে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংস খেলা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন। ১৯ ওভারে ১২৪ রানে খুলনাকে গুটিয়ে দিয়ে ১৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বরিশাল। চতুর্থ ম্যাচে এটি সাকিবের বরিশালের দ্বিতীয় জয়। বরিশালের হয়ে মেহেদী হাসান রানা ৪টি জ্যাক লিন্টট ও মুজিবুর রহমান ২টি করে উইকেট লাভ করেন। সাকিব আল হাসান ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট লাভ করেন। শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে বরিশাল। চার পরিবর্তন নিয়ে খুলনার বিপক্ষে খেলতে নামা বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপে দেখা যায় ব্যাপক রদবদল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই চমক দেয় বরিশাল। ক্রিস গেইলের সঙ্গে ইনিংস সূচনা করতে পাঠানো হয় লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান জ্যাকব লিন্টটকে। এ দুজনের জুটি টেকে মাত্র ২.৩ ওভার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কামরুল ইসলাম রাব্বিকে তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঝড়ের আভাস দেন গেইল। শরিফউল্লাহর করা তৃতীয় ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি লিন্টটও। কিন্তু টানা তৃতীয় বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ১০ রান করা লিন্টট। দুই অফস্পিনারের বিপক্ষে সুবিধা করার জন্য সাকিবের বদলে তিন নম্বরে পাঠানো হয় জিয়াউর রহমানকে। কিন্তু তিনি খেলতে থাকেন একের পর এক ডট। এক পর্যায়ে ১০ বল থেকে মাত্র ৩ রান ছিল তার নামের পাশে। আজ গেইল ছিলেন এক প্রান্তে দেয়াল হয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান। ২ ছয় ও ৪ চারে এ রান করেন গেইল। শুরুতে গেইলের এই ইনিংস না হলে বিপদ বাড়তো বরিশালের। তিন থেকে সাতে আসে সাকিবকে দেখা গিয়েছিল সাবলীল। এক্সট্রা কাভারে দারুণ চারে খোলেন রানের খাতা। পরের বলেও হাঁকিয়েছিলেন বাউন্ডারি। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। থিসারা পেরেরার বলে স্কয়ার লেগে আন্দ্রে ফ্লেচারের দারুণ ক্যাচে ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ৯ রান। সাকিবের আউটের পর তিন উইকেট হারিয়ে পরবর্তী ১৬ বলে বরিশাল তোলে ১১ রান। এদিন দারুণ ফিল্ডিং করেছে মুশফিকের দল। ফ্লেচার ছাড়াও বাউন্ডারি লাইনে পেছন দিকে লাফিয়ে ইরফান শুক্কুরের ক্যাচ ধরেন মেহেদী হাসান। তিনি বোলিংও করেছেন দারুণ, ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বী, থিসারা পেরেরা ও ফরহাদ রেজা।
খুলনা,দ্বিতীয় জয়,বরিশাল,হার
বরিশাল ফরচুনের ব্যাটসম্যানকে সাজ ঘরে ফিরিয়ে খুলনা টাইগার্সের ফিল্ডারদের উল্লাস।
sports
https://www.ajkerpatrika.com/95102/%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8B%E0%A6%AD
উত্তরায় শীর্ষ চাঁদাবাজদের নেতৃত্বে হকারদের বিক্ষোভ
রাজধানীর উত্তরায় শীর্ষ ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ রাসেল, উজ্জল ও আনোয়ারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ করেছে হকারেরা। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক হকার অংশগ্রহণ করেছেন। এ সময় তারা হকার নির্যাতন ও পুনর্বাসনের দাবি জানান।উত্তরার আজমপুরের রবীন্দ্র সরণি থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজলক্ষ্মীর স্থানীয় সাংসদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিচে গিয়ে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আন্দোলন করেন।আন্দোলনরত হকারদের দাবি, গরিব হকারদের বিনা কারণে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে মামলা দিয়ে চালান করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ফুটপাতে হকারদের পুলিশ বসতে দিচ্ছে না। তাই আমরা হকারদের পুনর্বাসনের জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা যদি ফুটপাতে বসতে না পারি, তাহলে আমরা ও আমাদের পরিবার না খেয়ে থাকবে। পরে বাধ্য হতে আমাদের অপরাধমূলক কাজ করতে হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন হকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফুটপাতে বসতে গেলে পুলিশকেই টাকা দিতে হয়। সেই টাকা তোলেন পুলিশের পছন্দ করা লাইনম্যান এবং তাদের সহযোগীরা। আজমপুর এলাকার ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করেন উত্তরা হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মণ্ডল, হাউজবিল্ডিং এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন উত্তরা ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল এবং সাঙ্গাম মোড় ও ৭ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করে উত্তরা হকার্স লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার। তারাই ফুটপাত থেকে টাকা তুলে টহল গাড়ি থেকে শুরু করে থানার ওসি এবং পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত বিলিয়ে দেন। তারা আরও বলেন, পুলিশ ফাঁড়ি ও থানায় টাকা দিয়ে হকারেরা ফুটপাতে ব্যবসা করে। তাহলে সেই পুলিশই কেন আবার আমাদের উচ্ছেদ করবে এবং ধরে নিয়ে মামলা দেবে? আমরা এসবের প্রতিকার চাই।এদিকে আন্দোলনরত হকারদের ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ হাবিব হাসান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তাঁরা বিক্ষোভ বন্ধ করেন। হাবিব হাসান বলেন, আপনারা যদি মেইন রোডে ভ্যান লাগিয়ে ব্যবসা করেন, তাহলে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এমনিতেই যানজটে নাকালের অবস্থা। তাই পুলিশ ও সিটি করপোরেশন আপনাদের উচ্ছেদ করবেই। আপনারা যদি নিয়ম না মানেন তাহলে পুলিশ সারা দিন ঘুরলেও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবে না।এমপি হাবিব বলেন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক কিছু করতে হয়। আপনারা যারা উপস্থিত হয়েছেন, অবশ্যই আপনাদের প্রতিবাদের অধিকার আছে। আমি বিষয়টি দেখলাম। আপনারা ব্যবসা করবেন এতে কোন অসুবিধে নেই। এ সময় হকারদের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানেরও আশ্বাস দেন তিনি।
ঢাকা জেলা,অপরাধ,রাজধানী,ঢাকা বিভাগ,উত্তরা,ঢাকা
উত্তরায় হকারদের বিক্ষোভ।
national
https://samakal.com/whole-country/article/19128012/ধাক্কায়-বাংলাদেশ-ব্যাংকের-যুগ্ম-পরিচালকের-২-মেয়ের-মৃত্যু
লরির ধাক্কায় ২ মেয়েসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রাইভেটকারে লরির ধাক্কায়দুই মেয়েসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নিহতহয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দু্ইজন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ছলিমপুরস্থ ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন,বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক সাইফুজ্জামান মন্টু (৪০) এবং তার দুই মেয়েতাসফিয়া (১৪) ও তাসরিন (১২)। দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী কনিকা আক্তার (৩৫) ও ১০ বছরের শিশুপুত্র মন্টি আহত হয়েছে। তারা বান্দরবান থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ফৌজদারহাট বন্দর সড়কের মোড়ে একটি লরি বন্দর সড়কে যাওয়ার জন্য মোড় নেওয়ার সময় দুইটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এ সময় একটি প্রাইভেটকার দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়। আহত হন তাদের বাবা-মাসহ অপর এক শিশু।আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়সাইফুজ্জামান মন্টুর মৃত্যু হয়। বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার এসআই কাউছার বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে লরিটি আটক করা সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রাম,সড়ক দুর্ঘটনা,নিহত
লরির ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকার
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2020/12/31/603082
বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন'র পুনরায় সভাপতি মোঘল সম্পাদক আলিম
বগুড়া স্পোর্টস রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। সভায় ২০২১ সালের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপদি পদে মোস্তফা মোঘল (দৈনিক সাতমাথা) ও সাধারণ সম্পাদক পদে এইচ আলিম (দৈনিক চাঁদনী বাজার) পুনরায় নির্বাচিত হন। এর আগে সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মোঘলের সভাপতিত্বে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধরণ সম্পাদক এইচ আলিম এর সঞ্চালনায় সভায় গত এক বছরের আয় ও ব্যায়ের হিসাব প্রদান করেন কোষাধ্যক্ষ সানাউল হক শুভ। আলোচনা সভা শেষে রাহাত রিটুকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যন মনোনিত করা হয়। সভায় সাংবাদিক মাজেদ রহমান ও ক্যামেরাপার্সন রবিউল ইসলামের উপর হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারিদের দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়। সভায় সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
null
মোস্তফা মোঘল ও এইচ আলিম
national
https://samakal.com/international/article/19127865/পেলে-আবারও-একইভাবে-প্রতিবাদ-জানালেন-যাদবপুরের-সেই-শিক্ষার্থী
সুযোগ পেলে আবারও একইভাবে প্রতিবাদ, জানালেন সেই শিক্ষার্থী
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিলিপি ছিঁড়ে যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঠিক একইভাবেই আরও প্রতিবাদ জানাতে চান বলে জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেবস্মিতা চৌধুরী। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মঞ্চে তিনি নাগরিকত্ব আইনের প্রতিলিপি ছিঁড়ে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ''হম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।' বুধবার স্বর্ণপদক পাওয়া ওই শিক্ষার্থী জানান, স্বর্ণপদক নেওয়ার জন্য মঞ্চে ওঠার সুযোগটাকে ওই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য কাজে লাগিয়েছেন। আবার প্রতিবাদের সুযোগ পেলে তিনি একইভাবে প্রতিবাদ জানাবেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছেন দেবস্মিতা। সেখানে এনআরসির বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এর জন্য আসামেও গেছেন তিনি। ওই শিক্ষার্থী জানান, এনআরসির প্রভাব আসামের মানুষদের উপরে কী ভয়ঙ্করভাবে পড়েছে, তিনি তা সামনাসামনি দেখেছেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে 'অসাংবিধানিক' বলে অভিহিত করে দেবস্মিতা জানান, এই আইনের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ তাকে ছুঁয়ে গেছে। জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানালে পুলিশ যেভাবে তাদের উপরে চড়াও হয়েছে, এটা তারও প্রতিবাদ। প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও তার আপত্তি আছে। দেবস্মিতা যে-কোনো মঞ্চেই এ নিয়ে তার বক্তব্য জানাতে চান। প্রয়োজন হলে একই ধাঁচে প্রতিবাদ করবেন তিনি। সেপ্টেম্বরে যাদবপুর ক্যাম্পাসে এসে ছাত্র-বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পরে বাবুল জানিয়েছিলেন, এই সব পড়ুয়া এনআরসির মানে জানেন না। দেবস্মিতা এ বিষয়ে ন জানান, বাবুল চাইলে তিনি তার সঙ্গে এনআরসি নিয়ে আলোচনা করতে তৈরি। তিনি বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অনুগামী নই। এনআরসি নিয়ে আসামবাসীর আতঙ্ক নিজের চোখে দেখেছি। আর দেখছি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন,প্রতিবাদ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিলিপি ছিঁড়ে শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ-আনন্দবাজার পত্রিকার
international
https://www.prothomalo.com/world/asia/তালেবানের-ক্ষমতা-দখলে-যেভাবে-বদলেছে-জীবন
তালেবানের ক্ষমতা দখলে যেভাবে বদলেছে জীবন
আফগানিস্তানে তালেবানের আকস্মিক ক্ষমতা দখলে দেশজুড়ে জনজীবনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। সম্প্রতি একজন সাংবাদিক আফগানদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন করেন। সেখানে একটি প্রশ্ন ছিল তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগে ও পরে তাঁদের চাকরির অবস্থা নিয়ে। পুরোপুরি পরিবর্তিত জীবনব্যবস্থায় আফগানরা কীভাবে লড়াই করছেন, সেই চিত্র উঠে এসেছে অনেকের উত্তরে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি আফগানিস্তানের কয়েকজন কর্মকর্তা ও মানবাধিকারকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁদের মুখের সেই বয়ান তুলে ধরা হলো- তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগে আহমেদ আফগানিস্তানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক পদে কাজ করতেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন। বিবিসিকে আহমেদ বলেন, 'ওই সময়টা ছিল আমার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। কারণ, আমি কাজে ছিলাম এবং আমার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বোনকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারতাম। আমার ভালো বেতন ছিল, যা পরিবার চালানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। তখন অর্থ সঞ্চয় করতাম পাশাপাশি অর্থ বাড়িতে পাঠাতাম।' আহমেদ আরও বলেন, 'অফিসে আমার অনেক বন্ধু ছিল। তাঁরা সবাই তাঁদের চাকরি হারিয়ে এখন বেকার। কিন্তু এখন আমার জন্য জীবনটা অনেক কষ্টের। বিশেষ করে আমার পরিবারের জন্য। কারণ, এখানে কোনো কাজ নেই, পরিবার চালানোর জন্য আয়ের কোনো উৎস নেই।' আহমেদ মা-বাবার একমাত্র ছেলে। পরিবারের সবার বড়। তাঁর বাবার বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। বয়স ও শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি কাজ করতে পারেন না। এ বিষয়ে আহমেদ বলেন, 'পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় আমার ওপর দায়িত্ব অনেক বেশি। প্রতিদিন পণ্যের দাম বাড়ছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভোগের।' তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগে সবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করেন জাহরা। কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তিনি আর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারেননি। ওই ছাত্রী বলেন, 'আমি যখন মেডিকেলের ছাত্রী ছিলাম, তখন আমার জীবনের সেরা সময় ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে আমি দুই বছর ধরে অনেক চেষ্টা করেছিলাম। এটার অনেক মূল্য ছিল। এটার জন্য আমি অনেক চেষ্টাও করেছিলাম। কিন্তু শূন্য হাতে ফিরে এলাম। এটা আমাকে অনেক বেশি মর্মাহত করেছে।' বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একরাশ হতাশা প্রকাশ করে জাহরা বলেছেন, 'আজকের জীবন কোনো জীবন নয়। কোনো লক্ষ্য ছাড়া শুধু টিকে থাকা ও শ্বাস নেওয়া। এটা কোনো জীবন নয়। আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন স্বপ্ন দেখতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। আমি বন্ধুদের সঙ্গে পড়তে ভালোবাসতাম। আমি সত্যিই সেই জীবনকে ভীষণ মিস করছি।' জাহরা আরও বলেন, 'আমার বেশির ভাগ সময় কাটছে বাড়িতে বসে বসে। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়া আমি যে বাইরে যেতে পারতাম, সেটা চরম মিস করছি। আমি এখন বাড়িতেই ইংরেজি শিখছি, বই পড়ে অনেক নতুন কিছু জানার চেষ্টা করছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক।' তবে আশা ছাড়ছেন না জাহরা। একদিন পরিস্থিতি ঠিক হবে, আবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করতে পারবেন, এমন আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সানা আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেছেন, 'তালেবান ক্ষমতায় আসার আগেও আমরা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম। কিন্তু তখন আমরা ভালোই ছিলাম। কারণ, তখনো কিছু ব্যক্তিস্বাধীনতা ছিল। আমরা পড়তে পারতাম, কাজে যেতে পারতাম, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারতাম। একসঙ্গে বসে আড্ডা দিতে পারতাম, বিতর্ক করতে পারতাম। একই সঙ্গে আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে খুশি ছিলাম। আমরা আইন (নারী অধিকারবিষয়ক) পরিবর্তনের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেল। আমরা আমাদের মাতৃভূমি থেকে অনেক দূরে সরে গেলাম।' সানা বর্তমানে ইরানে আছেন। তিনি জার্মানির ভিসা পেয়েছেন। তালেবানের আফগানিস্তানে ফিরে যাওয়াকে দুঃস্বপ্ন মনে করেন সানা। তিনি বলেন, 'আমরা সংগ্রাম করে যতটুকু অর্জন করেছিলাম, সেটা হারানো আমার জন্য দারুণ কষ্টের। আমি শারীরিকভাবে বেঁচে আছি। আমি আমার পরিবার ও জন্মস্থানকে মিস করি। আমি আমার প্রতিবেশী, ভাষা-সবকিছুই মিস করি।' তিনি আরও বলেন, 'আমাকে আফগানিস্তান ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু আমার হৃদয় পড়ে রয়েছে সেখানে। এটা আমাকে প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত করে।' সাইদ সাংবাদিকতা করতেন। আফগানিস্তানের বৃহত্তম সম্প্রচারমাধ্যমের উপস্থাপক ছিলেন তিনি। সাইদ এখন যুক্তরাষ্ট্রে। শরণার্থী হিসেবে দেশটিতে আশ্রয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তাঁর পরিবার আফগানিস্তানেই রয়ে গেছেন। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাইদ বলেছেন, 'আমি আমার পেশাজীবন মিস করি। এই পেশা ঘিরেই আমার সব স্বপ্ন ছিল। এখনকার অবস্থা মনে উঠলে নিজেকে চরম বিধ্বস্ত লাগে।' তালেবান যেদিন (১৫ আগস্ট) ক্ষমতা দখল করে, সেদিনও সাইদ কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বিকেলের মধ্যে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেল। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করে সাইদ বলেন, 'আমাদের অফিস প্রায় খালি হয়ে গেল। সব নারী সহকর্মী অফিস ছাড়লেন। আমাদের কারিগরি সহায়তা দল দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করলেন। যে পোশাক সাধারণ মানুষ পরে, সেটা পরলেন তাঁরা।' আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে সাইদ বলেন, '২০ বছরের অগ্রগতি ও আত্মোৎসর্গ তছনছ হয়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে আমার আশা, স্বপ্ন-সবকিছু। কিন্তু সবকিছুর পতন ঘটে হঠাৎ করেই। আমি এখনো এটা বিশ্বাস করতে পারি না।' পরিবার-পরিজন থেকে দূর থাকার কষ্টের কথা উল্লেখ করে সাইদ বলেন, 'পুরোপুরি ভিন্ন পরিবেশ থাকা প্রিয়জনেরা দূরে থাকায় আমার জীবন অনেক কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়েছে।' ভাষান্তর করেছেন কামরুজ্জামান
আফগান অর্থনীতি,আফগানিস্তান,তালেবান
কাবুলে তালেবানবিরোধী বিক্ষোভে আফগান নারীরা
international
https://www.bhorerkagoj.com/2020/12/16/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%85%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%a6/
বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ: প্রধানমন্ত্রী
ভাস্কর্য বিরোধীদের হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। সব ধর্মের মানুষ এখানে সমান অধিকার নিয়ে বাঁচবে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গণভবন থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। কারো কথায় কান না দিয়ে দেশের সেবায় আওয়ামী লীগ নিয়োজিত থাকবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান প্রতিকূল পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশকে আমরা উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। কেন পারছি? কারণ আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা ওঠার চেষ্টা হয়েছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশের সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ নিয়ে চলবে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, মনে রাখতে হবে, সকলে এক হয়ে একসাথে রক্ত ঢেলে দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে। কাজেই এ দেশের মাটিতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে। নিজ নিজ ধর্ম পালনে সকলের স্বাধীনতা থাকবে। সবাইকে যেকোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সাথে মোকাবিলা করতে হবে। আর কে কি বলল, না বলল, সেগুলো শোনার থেকে আমরা কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম সেটাই আমাদের চিন্তায় থাকবে। তাহলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সঠিক কাজ করতে পারব।
অসাম্প্রদায়িক,আওয়ামী লীগ,দেশ,প্রধানমন্ত্রী,বাংলাদেশ,শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা
national
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/কলাবাগানের-সঙ্গে-এ-কেমন-শত্রুতা
কলাবাগানের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা
পাবনায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে এক কৃষকের ৫০ বিঘা জমির কলাগাছ পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক মো. ইসমাইল প্রামাণিক আজ মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত রোববার রাতে জেলা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাওডাঙ্গা পিরপুর চরে এ ঘটনায় আগুনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ইসমাইল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বছর দুই আগে তিনি ওই চরে ১০০ বিঘা জমিতে কলার বাগান করেছেন। কলাগাছ বড় হয়ে ফল দেওয়া শুরু করেছে। আসন্ন রমজান মাসেই তিনি বড় অঙ্কের কলা বিক্রি করবেন বলে আশা করেছিলেন। এর মধ্যেই রোববার রাতে কে বা কারা তাঁর কলাবাগানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে রাতভর বাগানটি পুড়তে থাকে। সোমবার সকালে চরের লোকজন তাঁকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তিনি বাগানে ছুটে গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু এর আগেই তাঁর বাগানের প্রায় ৫০ বিঘা জমির কলাগাছ পুড়ে যায়। এতে তাঁর প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মায় পলি পড়ে জেগেছে বিশাল চর। চরজুড়েই এখন ফসলের আবাদ। এর মধ্যেই বিশাল এই কলাবাগান। বাগানের চারপাশজুড়ে কাশফুলের ঝোপঝাড়। আগুনে বাগানের একাংশ পুড়ে গেছে। গাছের সঙ্গে ছাই হয়েছে কাঁচা-পাকা কলা। তবে কত পরিমাণ জমির গাছ পুড়েছে, তা পরিমাপ করা বেশ কঠিন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. ইসমাইল প্রামাণিক বলেন, প্রায় ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তিনি বাগানটি করেছেন। আশা ছিল, রমজান মাসে কলা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করবেন। কিছু টাকা লাভেরও আশা ছিল। কিন্তু অর্ধেক বাগানই পুড়ে ছাই হয়েছে। এখন লাভ তো দূরে থাক কীভাবে দেনা শোধ করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত আছেন। মো. ইসমাইল প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, 'আমার সঙ্গে কার কী শত্রুতা আছে, তা জানা নেই। কী কারণে এই সর্বনাশ করল, তা-ও বুঝতে পারছি না। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করছি, পুলিশ দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।' সদর থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, এজাহারটি পাওয়ার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এজাহারে যে পরিমাণ জমির কলাগাছ পুড়েছে এবং যে পরিমাণ ক্ষতি দাবি করা হয়েছে, ততটা না হলেও বাগানের একাংশ পুড়ে গেছে। এতে ওই কৃষক বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, কারা কী কারণে বাগানটিতে আগুন দিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বাগানমালিকের সঙ্গে পূর্ব কোনো শত্রুতার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাবনা,পাবনা সদর,কৃষক,কৃষি,অগ্নিকাণ্ড,রাজশাহী বিভাগ
প্রায় ৫০ বিঘা জমির কলাবাগান পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ৫০ লাখ টাকার কলার গাছ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেন বাগানমালিক। গতকাল সোমবার পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাওডাঙ্গার পিরপুর চরে
national
https://www.dailynayadiganta.com/middle-east/587156/সিরিয়ায়-ইসরাইলের-বিমান-হামলা
সিরিয়ায় ইসরাইলের বিমান হামলা
সিরিয়ায় ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে। তবে তারা ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে বলেও জানিয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার কথা ঘোষণা করে। বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরাইল সিরিয়ার ওপর হামলার জন্য লেবাননের আকাশসীমা ব্যবহার করে। সানা জানিয়েছে, রাত ঠিক ১১টা ৩৬ মিনিটের সময় শত্রুরা লেবাননের আকাশসীমা ব্যবহার করে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ওপর আগ্রাসন চালায়। তবে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তার বেশিরভাগই ভূপাতিত করে। ইসরাইলি আগ্রাসনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির ভেতরেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। অর্থাৎ এই আগ্রাসনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, ইসরাইলি হামলায় সরকারপন্থী অন্তত আট যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এসওএইচআর প্রধান রামি আবদুল রহমান জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সৈন্য ও তিনজন মিত্র যোদ্ধা রয়েছে। ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ তদারকি সংস্থাটি জানায়, হোমস উপকণ্ঠের খাইবেত আল-তিন গ্রামের কাছে সিরীয় বিমান বাহিনীর অবস্থানে ইসরাইলি হামলা চালানো হয়। এছাড়া লেবাননি হিজবুল্লাহ আন্দোলনের একটি অস্ত্র গুদামও ছিল হামলার টার্গেট। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এসব হামলার কথা কদাচিৎ স্বীকার করে। তারা 'বিদেশী মিডিয়ায় প্রকাশিত' এ ধরনের খবরের ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গত ৫ মে সিরিয়ার বন্দরনগরী লাতাকিয়ায় ইসরাইল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর প্রায় এক মাস পর এই প্রথম ইসরাইল সিরিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালালো। সিরিয়ায় এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে অন্তত ৫ লাখ লোক নিহত ও কয়েক লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা ও পার্স টুডে
সিরিয়া,সিরিয়া-ইসরাইল,ইসরাইল,বিমান হামলা
ইসরাইল হামলা
international
https://samakal.com/sports/article/211183516/নবীর-কাছে-শীর্ষস্থান-হারালেন-সাকিব
নবীর কাছে শীর্ষস্থান হারালেন সাকিব
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগেই অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানে উঠেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝপথেই টাইগার অলরাউন্ডারকে টপকে শীর্ষে উঠে গেলেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। দুজনের রেটিং পয়েন্টই সমান ২৭১। তবে ভগ্নাংশ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে রাজত্ব হারিয়েছেন সাকিব। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের তিন ম্যাচ ব্যাট হাতে ২৩ রান ও বল হাতে মাত্র ২ উইকেট। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই ছিটকে যানসাকিব। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে ফিরে যান সাকিব। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ফিরে আসার আগে কিছুদিন সেখানেই অবস্থান করবেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। সাকিব বর্তমানে অবস্থান করছেন র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে। অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার সুবাদে তিন নম্বরে উঠে এসেছেন নামিবিয়ার অলরাউন্ডার জেজে স্মিট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ,বাংলাদেশ,সাকিব আল হাসান,আফগানিস্তান,মোহাম্মদ নবী
সাকিব আল হাসান ।
sports
https://www.ajkerpatrika.com/17965/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80
তালেবানের পাশবিকতার বর্ণনা দিলেন এক নারী
'তালেবানের চোখে নারীরা মানুষ নয়। তাঁদের কাছে নারী মানেই এক টুকরো মাংস।' দুঃখ করে কথাগুলো বলছিলেন ৩৩ বছর বয়সী খাতিরা। গত বছর আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশে তালেবানের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছিলেন তিনি।চিকিৎসার জন্য গত বছরের নভেম্বর থেকেই স্বামীর সঙ্গে ভারতের রাজধানী দিল্লির লাজপাট নগরে অবস্থান করছেন এই নারী। খাতিরার সঙ্গে আছে তার ছেলে-মেয়েরাও। রোববার (১৫ আগস্ট) ভারতের নিউজ-এইটটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাতিরা জানান, হামলার ইন্ধন দিয়েছিলেন তারই বাবা। তার বাবা একজন তালেবান যোদ্ধা।গত বছরের অক্টোবরে তালেবানের হামলার শিকার হওয়া খাতিরা আফগান বাহিনীতে পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হামলার সময় দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল তিন তালেবান যোদ্ধা। তারা প্রথমেই তার পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তারপরই বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। গুনে গুনে আটটি গুলি বিদ্ধ হয় তার শরীরের ওপরের অংশে। পরে চাকু দিয়ে তার চোখ দুটো উপড়ে নেওয়া হয়। অচেতন খাতিরাকে মৃত ভেবেই ফেলে রেখে যায় তালেবানরা।খাতিরা বলেন, তারা নারীদের নৃশংস উপায়ে হত্যা করে। এমনকি নারী শরীরকে কুকুরের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করে। সৌভাগ্যক্রমে আমার প্রাণটি এখনো বেঁচে আছে। তালেবানের অধীনে আফগানিস্তানে বসবাস করা নারী, শিশু আর সংখ্যালঘুরা এক নারকীয় পরিবেশের মধ্যে থাকে।'ভারতের রাজধানী দিল্লির লাজপাট নগরে কাস্তুরবা নিকেতন এলাকাটির চেহারা গত এক সপ্তাহের মধ্যেই বদলে গেছে। গত কয়েক দিনে সেখানে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে এসে অসংখ্য মানুষ শরণার্থী জীবন শুরু করেছে। গত রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতনের পর থেকেই সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। তাদের অনেকেই দেশে ফেলে আসা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।খাতিরা বলেন, নারীদের পুরুষ চিকিৎসক দেখানোর অনুমতি দেয় না তালেবানরা। এ ছাড়া তাদের পড়াশোনা কিংবা কাজে যাওয়াও বারণ। এ অবস্থায় নারীদের মৃত্যু ছাড়া আর কিইবা করার আছে?
এশিয়া,আফগানিস্তান,নারী,তালেবান
খাতিরা।
international
https://www.bhorerkagoj.com/2021/07/04/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%ae%e0%a6%87-%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b9/
রাস্তা বন্ধ, মই বেয়ে যেতে হয় বাড়ি
৩০ বছরের পুরোনো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের একটি হতদরিদ্র পরিবারকে দীর্ঘ আট মাস ধরে মই বেয়ে দশ ফুট উঁচু দেয়াল টপকে নিজ বাড়িতে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুসহ পরিবারের সবাই সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় বিশ বছর আগে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা ফকির আলী জমি কিনে এখানে বসবাস শুরু করেন। তার বাড়ির পাশেই ফিরোজ মিয়া নামে জনৈক ব্যক্তিও জমি কিনে বাড়ি করেন। জমি বিক্রি করার সময়ই এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য ছয় ফুট প্রশস্ত রাস্তা রাখা হয়েছিল। গত ত্রিশ বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি ফিরোজ মিয়া রাস্তাটি তার জমির ওপর দিয়ে গেছে দাবি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ফলে ফকির আলীর পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। উপায় না থাকায় মই দিয়ে দশ ফুট উঁচু ওয়াল টপকে বাড়িতে যাতায়াত করছে ফকির আলীর পরিবার। এই নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান জানান, রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য ফিরোজ মিয়াকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি খুলে দেননি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার সবাই মিলে ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করেছি। ভুক্তভোগী চা বিক্রেতা ফকির আলী জানান, কিছুদিন আগে প্রতিবেশী এক লোকের সঙ্গে ফিরোজ মিয়ার ঝগড়া হয়। ওই ঘটনায় ফিরোজ মিয়ার প্রতিপক্ষরা তার নামে আদালতে মামলা করেছে। মামলার বাদী আমাকে কিছু না জানিয়েই মামলায় সাক্ষ্য হিসেবে আমার নাম ব্যবহার করেছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরোজ মিয়া ৩০ বছরের পুরোনো রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এ কারনে আট মাস ধরে দেয়াল টপকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ফিরোজ মিয়া বলেন, কারও চলাচলের রাস্তা বন্ধ করিনি আমি। আমি বাড়ির নিরাপত্তার জন্য আমার নিজের জমিতে দেয়াল দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনমুন জাহান লিজা জানান, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করছি।
নিরাপত্তা,বাড়ি,মই,রাস্তা
দীর্ঘ আট মাস ধরে মই বেয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবারটিকে।
national
https://www.prothomalo.com/entertainment/song/ধর্ষণের-অভিযোগকারীর-বিরুদ্ধে-উল্টো-মানহানির-মামলা
ধর্ষণের অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে উল্টো মানহানির মামলা করেছেন বিবার
কানাডীয় পপ তারকা জাস্টিন বিবারের জন্য এটা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বহু তরুণী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ করে আসছেন। অন্যদিকে বিবারের 'চরিত্র' নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অথচ বেচারা বিবারের দাবি, তিনি কেবল এক প্রেমকাতর শিল্পী। নারীদের হেনস্তা করা তাঁর কাজ নয়। মার্কিন পপ তারকা সেলেনা গোমেজের সঙ্গে প্রেমে বিচ্ছেদের পর আরেক মার্কিন মডেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন জাস্টিন বিবার। পরে তাঁকে বিয়েও করেছেন। বেশ সুখেই সংসার করছেন তাঁরা। এরই মধ্যে বিগত দিনে যৌন হেনস্তার শিকার দুই নারী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন। এ ধরনের পোস্ট নিয়ে মাথা ঘামানোর লোক নন বিবার। কিন্তু এখন বয়স বেড়েছে। সংসার ও সম্মানে আঘাত লাগলে এখন কেন সইবেন তিনি। তাই ধর্ষণের 'মিথ্যে' অভিযোগকারী দুই নারীর বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা মানহানির মামলা ঠুকেছেন বিবার। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই দুই নারীর অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তাঁদের দাবির বিপরীতে যথাযথ তথ্য-উপাত্ত পেশ করা হয়েছে। 'ড্যানিয়েল'(ছদ্মনাম) নামের এক নারী অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ফোর সিজন হোটেলে তাঁকে যৌন হয়রানি করেন জাস্টিন বিবার। অথচ বিবার যে সেদিন ওই হোটেলে ছিলেন না, এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ২০১৪ সালের ১০ মার্চ বিবার গিয়েছিলেন ফোর সিজনের রেস্তোরাঁয়। আগের রাতে সাবেক প্রেমিকা মার্কিন পপ তারকা সেলিনা গোমেজের সঙ্গে একটা কনসার্টে গান করেন তিনি। সেখান থেকে নিজের দলের লোকজনসহ তাঁরা ঘুমাতে চলে যান ওয়েস্টিন হোটেলে। পরদিন ফোর সিজনের রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন সেলেনাকে নিয়ে। কোথায় ফোর সিজন হোটেল আর কোথায় রেস্তোরাঁ! আসা যাক কাদি নামের আরেক নারীর অভিযোগের ঘটনায়। তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালের ৫ মে রাত আড়াইটায় নিউইয়র্ক সিটির ল্যাংহাম হোটেলের কক্ষে নাকি তাঁকে আমন্ত্রণ জানান বিবার। সেখানেই তাঁকে যৌন হয়রানি করা হয়। অভিযোগকারীর উল্লেখ করা সময়ে বিবার ছিলেন 'মেট গালা' অনুষ্ঠানে, যার সাক্ষী আছেন বহু মানুষ। বিবারের আইনজীবী জানান, কাদি বিবারের একজন ভক্ত। তিনি হয়তো বিবারের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। ধর্ষণের এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে বিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'স্ত্রী ও দলের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করেছি, এবার কিছু একটা করতেই হবে। ধর্ষণের অভিযোগকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।' অভিযোগকারী নারীদের উল্লেখিত সময়ে বিবার যেসব জায়গায় অবস্থান করছিলেন, সেসব হোটেলের বুকিং অর্ডারের ই-মেইল, অনুষ্ঠানের ছবি তথ্যপ্রমাণ হিসেবে জমা দিয়ে ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বিবারের আইনজীবী। দিনের পর দিন এসব সহ্য করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। জাস্টিন বিবারের বয়স এখন ২৬ বছর। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে বিশ্ব সংগীতাঙ্গনে আর্বিভূত হন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্ব সংগীতাঙ্গনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পপ তারকাদের মধ্যে বিবার অন্যতম। জনপ্রিয়তার কারণে তাঁকে জড়িয়ে নানা সময়ে এ রকম বহু অভিযোগ করেছেন অনেক নারী। অনেকের ধারণা, মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই এসব করেন তাঁরা। তা ছাড়া গণমাধ্যমের খবরে থাকতে বিবারও মাঝেমধ্যে অদ্ভুত সব ঘটনার জন্ম দেন। পিপল ও রয়টার্স
সংগীত
কানাডীয় পপ তারকা জাস্টিন বিবার। ছবি: রয়টার্স
entertainment
https://www.prothomalo.com/politics/ভোটাধিকার-‘হাইজ্যাককারীদের’-ওয়ার্নিং-দিলেন-ড
ভোটাধিকার 'হাইজ্যাককারীদের' ওয়ার্নিং দিলেন ড. কামাল হোসেন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের 'মহাডাকাতি' হয়েছে অভিযোগ করে গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করা হয়েছে। হাইজ্যাককারীদের 'ওয়ার্নিং' দিয়ে তিনি বলেন, এসব করে কেউ পার পাবে না। আজ শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা-৬ আসনের নির্বাচনোত্তর শুভেচ্ছাবিনিময় সভায় ড. কামাল এসব কথা বলেন। ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর পক্ষে কাজ করা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এ শুভেচ্ছাবিনিময় সভা হয়। কামাল হোসেন বলেন, 'নির্বাচনের নামে সম্পূর্ণভাবে শুধু প্রহসন নয়, সারা দেশে ভোট মহাডাকাতি হয়েছে। একজনও বলে নাই এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। যারা করেছে তারা নিজেরাই নির্বাচিত না। রাষ্ট্রকে হাইজ্যাক করে জনগণের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করেছে।' বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহকর্মী যাঁরা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁদের অসম্মান ও অবমাননা করা হচ্ছে উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, 'সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে হবে, এটা হতে দেওয়া হবে না। যারা এগুলো করেছে, তাদের আমরা ওয়ার্নিং দিচ্ছি...বাংলাদেশে এগুলো করে কেউ পার পাবে না। এই দেশের ইতিহাস, গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, বহু স্বৈরাচার দেখেছি। একজন স্বৈরাচারও টিকতে পারেনি।' শাসক দল হাজার হাজার কোটি টাকা ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ করেন কামাল হোসেন। তিনি আরও বলেন, স্বাধীন দেশের মানুষকে অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। এই অসহায় অবস্থা সাময়িক। মানুষ সংঘবদ্ধ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শোষকদের বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। যারা শোষণ করছে ও জনগণের সম্পদ লুটপাট করছে তাদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, তারা যেন দ্রুত এসব থেকে বিরত থেকে লুণ্ঠিত সম্পদ মানুষকে বুঝিয়ে দিয়ে সরে পড়ে। দেশে কোনো উত্তেজনা তৈরি হোক, তা চান না বলে জানান গণফোরামের সভাপতি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে, দেশে প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে, শ্রমিক, কৃষক, প্রবাসীরা অসাধারণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাঁদের অবদানকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছিলেন। আর এবার গণতন্ত্রকে লাশ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সুব্রত।
রাজনীতি,জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট,গণফোরাম,ড. কামাল হোসেন
আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় বক্তব্য দেন দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি। ছবি: সুহাদা আফরিন
politics
https://www.bhorerkagoj.com/2021/09/11/%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a3-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95/
মেসির দ্বিগুণ জার্সি বিক্রি হচ্ছে রোনালদোর
এক মৌসুমে দলবদল করে তোলপাড় ফেলে দিলেন দুই ফুটবল মহানায়ক লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শৈশবের ক্লাব বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে গেছেন মেসি। সেখানে তার অভিষেকও হয়ে গেছে। আর জুভেন্তাস থেকে পুরনো ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে ফেরা সিআর সেভেনের আজ রাতে অভিষেক হতে যাচ্ছে। ঘরের ছেলেকে ফিরে পেয়ে ম্যান ইউ সমর্থকদের আনন্দ আর ধরে না। তাদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে আরও এক চমকপ্রদ খবর। হাজারের বেশি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বিক্রির তথ্য রাখার জন্য বিখ্যাত 'লাভ দ্য সেলস ডটকম' এর বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হচ্ছে রোনালদোর জার্সি। রোনালদোর জার্সি বিক্রি করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্পনসর অ্যাডিডাস এর মধ্যেই ১৮ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডের মতো আয় করেছে, যা তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির পিএসজি জার্সি বিক্রির প্রায় দ্বিগুণ! ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, মেসির একটি জার্সি বিক্রি হলে রোনালদোর বিক্রি হচ্ছে প্রায় দুটি। 'রোনালদো ৭ শার্ট' লিখে মানুষ আগের চেয়ে প্রায় ৬০০ শতাংশ বেশিবার অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিশিয়াল জার্সি বিক্রির দায়িত্বে থাকা ২৫ শতাংশ দোকানের স্টক ফুরিয়ে গেছে। এসব দোকানে আর রোনালদোর জার্সি নেই। রোনালদোকে কিনতে দলবদল ফি বাবদ খরচ করা অর্থ স্রেফ জার্সি বিক্রি করেই তুলে ফেলেছে ম্যন ইউ। সি আর সেভেনকে পেতে জুভেন্তাসকে ইউনাইটেড দিয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ড। অ্যাডিডাসের সঙ্গে ইউনাইটেডের চুক্তি অনুযায়ী জার্সির দামের ৫ থেকে ৭ শতাংশ যায় ক্লাবের কোষাগারে। তাই রোনালদোর জার্সি বিক্রি করে ইতোমধ্যেই ইউনাইটডের কোষাগারে এসেছে ১ কোটি ৩১ লাখ পাউন্ডেরও বেশি। অথচ, দলবদলের সময় রোনালদোর ইউনাইটডে আসার কথাই ছিল না। তার সঙ্গে আলোচনা চলছিল ইউনাইটেডের চিরশত্রু সিটির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দান মেরে দেয় ইউনাইটেড।
null
রোনালদোকে দেখার অপেক্ষায় সব ইউনাইটেড সমর্থক। রয়টার্স
sports
https://www.ajkerpatrika.com/2272/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E2%80%99%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87
অস্কারে 'নোম্যাডল্যান্ড'র জয়জয়কার; এক নজরে বিজয়ীদের তালিকা
জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অস্কার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের। বাংলাদেশ সময় আজ ভোর থেকে জমকালো আয়োজন, বিখ্যাত তারকাদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে হয়ে গেল বছরের সবচেয়ে কাঙ্খিত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি। এবারের অস্কার অনুষ্ঠানটি ছিল একের পর এক চমকে ঠাসা!ইতিহাস গড়লেন চীনা পরিচালক ক্লোয়ি ঝাও। 'নোম্যাডল্যান্ড' ছবির জন্য দ্বিতীয় নারী পরিচালক হিসেবে অস্কার পেলেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালে 'দ্য হার্ট লকার'-এর জন্য অস্কার পেয়েছিলেন ক্যাথরিন বিগেলো। ক্লোয়ি আবার একইসঙ্গে 'উইম্যান অব কালার' তথা অশ্বেতাঙ্গ প্রথম নারী হিসেবেও অস্কার পেলেন। প্রথম এশিয়ান বংশোদ্ভূত নারী যিনি অস্কার পেলেন। অস্কারের মোট ৬টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে এই ছবি। 'নোম্যাডল্যান্ড' এর গল্পটা ফার্ন নামের এক নারীকে ঘিরে। আমেরিকার মহামন্দার সময় সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন ষাটে পা দেওয়া ফার্ন। এরপর ছুটে যান পশ্চিমে। বেছে নেন এ যুগের যাযাবর জীবন।আর ফার্নের চরিত্রটাকে দুর্দান্তভাবে ফুটিয়ে তুলে সেরা অভিনেত্রীর অস্কারটা বাগিয়ে নিয়েছেন ফ্রান্সেস ম্যাকডোরমান্ড। এ নিয়ে তিনটি অস্কার পেলেন এ অভিনেত্রী। তিনটিই পেয়েছেন সেরা অভিনেত্রী হিসেবে (আগের দুটি ছবি হলো- 'ফারগো', 'থ্রি বিলবোর্ড আউটসাইড এবিং মিসৌরি'। 'দ্য ফাদার' ছবিতে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন অ্যান্থনি হপকিনস। একইসঙ্গে তিনি আবার অস্কারজয়ী সবচেয়ে বেশি বয়সী অভিনেতাও।এক নজরে দেখে নিন ৯৩ তম অস্কারের বিজয়ী তালিকা:সেরা ছবি: নোম্যাডল্যান্ডসেরা পরিচালক: ক্লোয়ি ঝাওসেরা অভিনেতা: অ্যান্থনি হপকিন্সসেরা অভিনেত্রী: ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা: ড্যানিয়েল কালুইয়াসেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী: ইয়া-জাং উনসেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র: অ্যানাদার রাউন্ডসেরা অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য: দ্য ফাদারসেরা মৌলিক চিত্রনাট্য: প্রমিসিং ইয়াং ওম্যানসেরা প্রামাণ্যচিত্র: মাই অক্টোপাস টিচারসেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র: কলেট সেরা অ্যানিমেটেড ছবি: সৌলসেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড ছবি: ইফ অ্যানিথিং হ্যাপেনস আই লাভ ইউসেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: টু ডিস্ট্যান্ট স্ট্রেঞ্জার্সসেরা চিত্রগ্রহণ: ম্যাঙ্কসেরা সম্পাদনা: সাউন্ড অব মেটালসেরা মৌলিক গান: ফাইট ফর ইউ (জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া)সেরা মৌলিক সুর: সৌলসেরা প্রোডাকশন ডিজাইন: ম্যাঙ্ক সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস: টেনেটসেরা শব্দ: সাউন্ড অব মেটালসেরা পোশাক পরিকল্পনা: মা রেইনি'স ব্ল্যাক বটমসেরা রূপ ও চুলসজ্জা: মা রেইনি'স ব্ল্যাক বটমহিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড: টাইলার পেরি।
হলিউড,চলচ্চিত্র,অস্কার
টুইটার
entertainment
https://www.bhorerkagoj.com/2020/04/07/%e0%a6%af%e0%a7%8c%e0%a6%a8%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%aa%e0%a6%be/
পার্টি করে কপাল পুড়লো ফুটবল তারকার
সারা বিশ্বে চলছে মহামারি করোনাভাইরাস। ভাইরাসটি এতোই মারাত্মক যে তা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে আসলেই অন্যের দেহে ছড়িয়ে যায়। আর তাই তো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তবে সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা কাইল ওয়াকার। তিনি নিজের ফ্ল্যাটে যৌনকর্মী নিয়ে পার্টি করেছেন। তার এমন কাণ্ডা চাপা থাকেনি। ছড়িয়ে যায় চারদিকে। এমন দুঃসময়ে এমন কাণ্ড করায় তার উপর বেশ ক্ষেপেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সাউথগেট এতোটাই ক্ষিপ্ত হয়েছেন যে তিনি জানিয়েছেন, কাইর ওয়াকারকে তিনি আর ইংল্যান্ড দলে সুযোগ দেবেন না। রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে তুলতে ওয়াকারের ভূমিকা ছিল অনেক। কিন্তু এগুলো কোনো কিছুই আর তিনি বিবেচনায় নিবেন না বলে জানা গেছে। তাছাড়া তার ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিও এমন কাণ্ডে বেশ বিব্রত। তারা তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। জানা গেছে, ম্যানসিটিও এর সত্যতা পেয়েছে। আর এজন্য কাইল ওয়াকারকে প্রায় দুই লাখ ইউরোর উপরে জরিমানা করতে যাচ্ছে।
কাইল ওয়াকার,পার্টি,যৌনকর্মী
কাইল ওয়াকার
sports
https://www.ajkerpatrika.com/6731/%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%AA-%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A7%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8C%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%AD%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A7%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3
২০৪ ইউপি, ২ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ভোট গ্রহণ শুরু
ঢাকা: লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন, ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও দু'টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে মাঠে নিয়োজিত করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে শাস্তি নিশ্চিতে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরা।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।ভোটের দিন হলেও নির্বাচনী এলাকায় কোনো সাধারণ ছুটি নেই। তবে ভোটকেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় আছেন। প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপিতে ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। কথা ছিল ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ভোট। এরপর মার্চের শেষদিকে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ১ এপ্রিল সব ভোট স্থগিত করে কমিশন। ২ জুন নতুন তফসিলে জানানো হয় ২১ জুন ভোট হচ্ছে। নানা আলোচনা সমালোচনা এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ৮ জুন জরুরি সভায় বসে ইসি। এদিন সিদ্ধান্ত হয়, করোনার বিস্তার লাভ করায় ২১ জুন ১৬৩টি ইউপি ছাড়া বাকি ২০৪ টিতে ভোট হবে।নির্বাচন কমিশন তাঁদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ১০ জেলার ২০টি ইউপিতে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ১৮৪টি ইউপিতে ভোট হবে ব্যালটে।লক্ষ্মীপুর-২ আসনস্বতন্ত্র থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলায় কুয়েতের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।সোমবার জাতীয় সংসদের ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ শূন্য আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন ৪ লাখ ২ হাজার ৯২৩ জন ভোটার। এদের মধ্যে নারী ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৩জন। আর পুরুষ ২ লাখ ৪ হাজারর ৪৬০ জন। ১৩৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার।ইউপি নির্বাচনআজ ১৩ জেলার যে ২০৪টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলো হলো-পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া, আংগারিয়া (ইভিএম) ও মুরাদিয়া। বাউফল উপজেলার ধুলিয়া, কেশবপুর, বগা (ইভিএম), চন্দ্রদ্বীপ, কালিশ্বরী, কনকদিয়া, আদাবাড়িয়া, কালাইয়া ও কাছিপাড়া। দশমিনা উপজেলায় আলীপুর, বহরমপুর ও বাঁশবাড়িয়া। গলাচিপা উপজেলায় আমখলা, গোলখালী, চিকনিকান্দি ও রতনদী তালতলী।রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া।বরিশাল সদরের কাশিপুর, চরবাড়িয়া (ইভিএম), জাগুয়া ও টংগীবাড়ীয়া। বাকেরগঞ্জের চরাদি, দাড়িয়াল, দুধল, ফরিদপুর, কবাই, নলুয়া, কলসকাঠি, গারুড়িয়া, ভরপাশা, রঙ্গাশ্রী ও পাদ্রীশিবপুর। উজিরপুরের সাতলা, জল্লা, ওটরা, শোলক ও বোরোকোঠা। মুলাদীর নাজিরপুর, সফিপুর, গাছুয়া (ইভিএম), চরকালেখা, মুলাদী ও কাজিরচর।মেহেন্দিগঞ্জের মেহেন্দিগঞ্জ ও ভাসানচর। বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর (ইভিএম), কেদারপুর, দেহেরগতি ও মাধবপাশা। গৌরনদীর বাটাজোড় (ইভিএম), সরিকল, খানজাপুর, বার্থি, চাদশী ও মহিলারা। হিজলার নলচিরা, হরিনাথপুর, মেমানিয়া, গুয়াবাড়িয়া ও বড়জালিয়া। বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, ইলুহার, চাখার, সালিয়াবাকপুর, বাইশারি, বানারীপাড়া ও উদয়কাঠি।বরগুনা সদরের বদরখালী, গৌরিচন্না, ফুলঝুড়ি, কেওড়াবুনিয়া, আয়লাপাতাকাটা, বুড়িরচর, ঢলুয়া (ইভিএম), বরগুনা (ইভিএম) ও নলটোনা। আমতলীর গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারগাছিয়া, হলদিয়া, চাওড়া (ইভিএম) ও আরপাঙ্গাশিয়া। বেতাগীর বিবিচিনি, বেতাগী (ইভিএম), হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সরিষামুড়ি। বামনার বুকাবুনিয়া, বামনা, রামনা ও ডৌয়াতলা। পাথরঘাটার কালমেঘা, কাঁকচিড়া ও কাঁঠালতলী।পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া, নদমুলা-শিয়ালকাঠী, তেলিখালী (ইভিএম), ধাওয়া ও গৌরিপুর। ইন্দুরকানীর বালিপাড়া। পিরোজপুর সদরের কদমতলা (ইভিএম), কলাখালী, টোনা ও শারিকতলা। মঠবাড়িয়ার তুষখালী (ইভিএম), মিরুখালী, বেতমোর রাজপাড়া, আমড়াগাছিয়া, সাপলেজা, হলতাগুলিশাখালী। নেছারাবাদের আটঘর কুড়িয়ানা, বলদিয়া, গুয়ারেখা, দৈহারী, সোহাগদল, সারেংকাঠী, সুটিয়াকাঠী, স্বরুপকাঠী, সমুদয়কাঠী ও জলাবাড়ী। কাউখালীর আমড়াজুড়ি ও কাউখালী। নাজিরপুরের মাটিভাংগা, মালিখালী, নাজিরপুর ও সেখমাটিয়া (ইভিএম)।ঝালকাঠি সদরের গাভারামচন্দ্রপুর, বিনয়কাঠী (ইভিএম), নবগ্রাম, কীর্তিপাশা, বাসন্ডা, গাবখান, ধানসিড়ি, শেখেরহাট, নথুল্লাবাদ (ইভিএম) ও কেওড়া। নলছিটির ভৈরবপাশা (ইভিএম), মগড়, কুলকাঠি, কুশঙ্গল, নাচনমহল, রানপাশা, সুবিদপুর, সিদ্ধকাঠি, দপদপিয়া (ইভিএম) ও মোল্লারহাট। রাজাপুরের সাতুরিয়া, শুক্তগড় (ইভিএম), রাজাপুর, গালুয়া, বড়ইয়া ও মঠবাড়ী। কাঠালিয়ার চেচরীরামপুর, পাটিখালঘাটা, আমুয়া, কাঠালিয়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া।ভোলার বোরহানউদ্দিনের গঙ্গাপুর ও সাচরা। তজুমদ্দিনের চাঁদপুর, চাচরা ও সম্ভুপুর। চরফ্যাশনের চরমাদ্রাজ, চরকলমি, হাজারীগঞ্জ, এওয়াজপুর ও জাহানপুর। মনপুরার হাজিরহাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া।নরসিংদী পলাশের গজারিয়া ও ডাংগা। গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমুলিয়া, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, বাহাদুসাদী, জামালপুর ও মোক্তারপুর।গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গা, তুমুলিয়া, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, বাহাদুসাদী, জামালপুর ও মোক্তারপুর। মাদারীপুর শিবপুরের শিবচর, পাঁচ্চর, মাদবরেরচর, কুতুবপুর, কাদিরপুর (ইভিএম) দ্বিতীয় খণ্ড, ভান্ডারীকান্দি, বাঁশকান্দি, বহেরাতলা উত্তর, বহেরাতলা দক্ষিণ, নিলখী, শিরুয়াইল ও দত্তপাড়া।সুনামগঞ্জ ছাতকের নোয়ারাই ও সিংচাপইড়।লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর বাদাম, চর পোড়াগাছা ও চর রমিজ। কমলনগরের চর ফলকন, হাজিরহাট ও তোরাবগঞ্জ। দুই পৌরসভাঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি ও দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভাতেও ভোট হচ্ছে।ঝালকাঠিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ লিয়াকত আলী তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. হাবিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন।৩৯ হাজার ৬৩৬ জন ভোটার তাদের পৌরপিতা নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন।এদিকে সেতাবগঞ্জ পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট পাঁচ প্রার্থী। এদের মধ্যে রযেছেন আওয়ামী লীগের মো. আসলাম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মো. রশিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী-নাজমুন নাহার মুক্তি, মো. নাহিদ বাসার চৌধুরী ও মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।এ নির্বাচনে ২১ হাজার ৩৫৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
নির্বাচন,ভোট,ইউপি
সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
national
https://www.ajkerpatrika.com/185007/%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87
চেন্নাইতে কারাগারে আসামির মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৬ পুলিশ
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাইতে কারাগারে আসামি মৃত্যুর ঘটনায় ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে ২৫ বছর বয়সী আসামি ভিগনেশের সন্দেহজনক মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে তাঁর শরীরে ১৩টি জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে একজন সাব-ইন্সপেক্টর, একজন কনস্টেবল এবং একজন হোম গার্ডকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।ভিগনেশকে গত মাসে পুলিশের ওপর হামলা ও গাঁজা রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়।এর আগে তামিলনাড়ু পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, 'কতজন পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার করা হবে তার তথ্য জানিয়ে দেব।'ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভিগনেশের মাথায়, চোখ ও গালে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।পুলিশ জানায়, ভিগনেশকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তাঁকে বাঁচানো যায়নি।কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের তাড়া খাওয়ার সময় ভিগনেশে হোঁচট খাচ্ছেন। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।মানবাধিকার সংস্থা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভিগনেশকে নির্যাতন করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা পিপলস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক হেনরি টিফাগেন বলেন, 'রাত ১১টা থেকে প্রায় ৩টা ৩০ পর্যন্ত তাঁকে মারধর করা হয়।'
ভারত,পুলিশ,মৃত্যু,গ্রেপ্তার,চেন্নাই,আসামি
২৫ বছর বয়সী আসামি ভিগনেশ। টুইটার
international
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/11/%e0%a6%ad%e0%a7%8b%e0%a6%9f-%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6/
ভোট পেতে সিঁদুর পরে হিন্দুদের বোকা বানিয়েছেন নুসরাত
রাজনীতিতেও প্রভাব পড়ছে নুসরাত-নিখিল ইস্যু। বিজেপির জন্য যেন আরেকটি সুযোগ সামনে এল। বৃহস্পতিবার বসিরহাটে দলের সাংগঠনিক সভায় গিয়েছিলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে নুসরাতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির এই রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের দাবি, নির্বাচনে ভোট পেতে সিঁদুর লাগিয়ে হিন্দুদের বোকা বানিয়েছেন নুসরাত। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বসিরহাটের ভোটাকরা তাকে সাংসদ নির্বাচিত করেছেন। এখন আপনারাই ঠিক করুন, উনি বিয়ে করেছেন কিনা, কাকে করেছেন, কবে করেছেন। মা হতে চলেছেন, সেনিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ভেবে দেখুন, যাকে আড়াই লক্ষের বেশি ভোটে জিতিয়েছেন, তিনি কে বা তার পরিচয় কী? বিয়ে না করে সিঁদুর লাগিয়ে হিন্দুদের বোকা বানিয়ে ভোট নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি খুবই লজ্জার। আমার মনে হয় তিনি নির্বাচনের জন্য বিয়ে করেছিলেন। নির্বাচন হয়ে গেছে, এখন সত্যি কথা বেরিয়ে এসেছে।' এদিকে নুসরাত কাণ্ড থেকে নিজেদের দূরে সরানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরো ঘটনাটি নুসরাতের ব্যক্তিগত বিষয় বলে আখ্যা দেন তৃণমূলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এর আগে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য নুসরতকে নিয়ে একটি টুইট করেন। সেখানে নুসরাতের শপথ গ্রহণের ভিডিও ছিল। সেখানে মালব্য লেখেন, 'তৃণমূল সাংসদ নুসরত রুহি জৈনের ব্যক্তিগত জীবন, কাকে তিনি বিবাহ করছেন, কার সঙ্গে তিনি ছিলেন, এতে কারও কিছু বলার নেই। কিন্তু তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং সংসদে দাঁড়িয়ে অন রেকর্ড তিনি নিখিল জৈনকে বিবাহের কথা বলেন। তিনি কি সংসদ ভবনে মিথ্যা কথা বলেছিলেন?' এরপরই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করেই এর জবাব দেন। তিনি লেখেন, 'প্রসঙ্গ নুসরত জাহান: বিষয়টি ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে রাজনীতি বা দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির মালব্য এসব নিয়ে টুইট না করাই ভালো। তর্ক শুরু হলে বিজেপির পক্ষে ভাল হবে না। তৃণমূল মানুষের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।'
null
দিলীপ ঘোষ ও নুসরাত
international
https://www.ajkerpatrika.com/35517/%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81
আগারগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তালতলার একটি ভবনের ছয়তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে আরিফুল ইসলাম শান্ত (২৩) নামের এক যুবক মারা গেছেন। তিনি মেট্রোরেলের কর্মচারী ছিলেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।মৃত শান্তর সহকর্মী আরিফুল ইসলাম জানান, তাঁরা আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের কাজ করতেন। আগারগাঁও তালতলার একটি বাসার ছয়তলায় শান্তসহ কয়েকজন মিলে থাকতেন। সকাল ১০টার দিকে শান্ত বাইরে বের হন। রুমের সবাই মনে করে যে শান্ত কাজে গেছেন।তিনি আরও জানান, বিকেলে শাহিন নামের আরেক সহকর্মী ফোনে জানান, শান্ত ছাদ থেকে পড়ে গেছে। তাঁকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে পঙ্গু হাসপাতালে তাঁকে দেখতে পাই। সেখান থেকে শান্তকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মৃত শান্তর ফুপাতো ভাই তাওহিদুল ইসলাম জানায়, তাঁদের বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে। বাবার নাম মো. আবু সালেক।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা জেলা,মৃত্যু,ঢাকা বিভাগ,ঢামেক
আগারগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
national
https://www.ajkerpatrika.com/51151/%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AD%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%86.-%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%C2%A0
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত তিতাস আ. লীগ
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর তিতাসের ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ।জানা যায়, দুই গ্রুপের মধ্যে একটি গ্রুপ স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরীর, আরেকটি গ্রুপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেনের। দুই গ্রুপ থেকে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৫৪ জনের তালিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রে। দুই গ্রুপের তালিকায় একাধিক প্রার্থীর নাম রয়েছে বলেও জানা গেছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে দুই গ্রুপে তিনজন করে মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম রাখা হয়েছে। ১ নম্বর সাতানী ইউনিয়ন, ২ নম্বর জগৎপুর, ৩ নম্বর বলরামপুর, ৪ নম্বর কড়িকান্দি, ৫ নম্বর কলাকান্দি, ৬ নম্বর কলাকান্দি, ৭ নম্বর নারান্দিয়া, ৮ নম্বর জিয়াকান্দি ও ৯ নম্বর মজিদপুর ইউনিয়নে ৬ জন করে প্রর্থী রয়েছেন।এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুনির্দিষ্ট গঠনতান্ত্রিক বিধি মোতাবেক তৃণমূলের রেজুলেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ২৮ (৩) (ঙ) অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীদের প্যানেল তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করবে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থীদের একটি প্যানেল সুপারিশের জন্য কেন্দ্রে পাঠাবে।উক্ত প্যানেল সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের (মোট ৬ জন) যুক্ত স্বাক্ষরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা থাকলেও তিতাসে তৃণমূল পর্যায়ে কোনো বর্ধিত সভা না করে উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন গ্রুপের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন ভূইয়া তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থীদের তালিকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল থেকে।অন্যদিকে সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরীর অনুসারীরা গত রোববার ঢাকার নিটল নিলয় গ্রুপের মিলনায়তনে তিতাস আওয়ামী লীগের একাংশ জরুরি সভা করে। ওই সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হয়ে রেজুলেশন করে ৯টি ইউনিয়ন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ২৭ জনের তালিকা করেন।এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে দুই গ্রুপের কোনো নেতাই ফোন রিসিভ করেননি।
আওয়ামী লীগ,কুমিল্লা,চট্টগ্রাম বিভাগ,নির্বাচন,তিতাস,মনোনয়ন
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত তিতাস আ. লীগ
national
https://www.ajkerpatrika.com/124592/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবাকে গলা কেটে হত্যা
দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় বাবাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ছেলের বিরুদ্ধে। হত্যার পরে ওই ব্যক্তির মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে সেপটিক ট্যাংক থেকেই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।রাজশাহীর দামকুড়া থানার আসগ্রাম পাটনিপাড়া বিন্দারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছেলেকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, এক বছর আগে সাজ্জাদ আলীর (৬৫) স্ত্রী মারা যান। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করতে চাইলে তাতে রাজি ছিলেন না ছেলে রাসেল আলী ওরফে স্বপন (৩২)। এই আপত্তির জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। স্বপন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ও এক ছেলের পিতা। তিনি প্লট আকারে জমি বেচাকেনার ব্যবসা করেন।এ প্রসঙ্গে দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, বাবা সাজ্জাদ আলী ফের বিয়ে করার জন্য বাড়িতে প্রস্তাব করেছিলেন। বিয়ে করলে আবার সন্তান হতে পারে। এমন হলে সম্পত্তি ভাগাভাগি হবে। এসব ভেবেই ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে হত্যা করেছেন ছেলে। পুলিশের কাছে তিনি এ কথা স্বীকার করেছেন।ওসি জানান, গত মঙ্গলবার রাত থেকেই সাজ্জাদ আলীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই মর্মে সাজ্জাদ আলীর ভাই সাজদার রহমান হাদী বুধবার দামকুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই সূত্র ধরে পুলিশ অনেক অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায়ে তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই হত্যাকাণ্ডের সূত্র পাওয়া যায়।বাড়ির টয়লেটের ট্যাংক থেকে গত বুধবার দিবাগত রাতে সাজ্জাদ আলীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে নিহত ব্যক্তির ভাই সাজদার রহমান থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলেও জানান ওসি।
অপরাধ,হত্যা,রাজশাহী বিভাগ,রাজশাহী সদর,রাজশাহী
গ্রেপ্তার হওয়া রাসেল আলী ওরফে স্বপন।
national
https://www.dailynayadiganta.com/politics/418762/ছেলের-ইটের-আঘাতে-বাবা-খুন
ছেলের ইটের আঘাতে বাবা খুন
চাদঁপুরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নে উপাদী গ্রামে গত ১৯ জুন দুপুরে ছেলে মোঃ হোসেন (২১) এর ইটের আঘাতে বাবা দুদু গাজী (৬০) খুন হয়েছে। নিহতের মেয়ে তানিয়া জানান, ঘটনার সময়ে আমি গোসল করতে পুকুরে গিয়েছিলাম। ডাক-চিৎকার শুনতে পেয়ে এসে দেখি বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় উঠানে পড়ে আছে। এ সময় আমার ভাই আমাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বাবার এই অবস্থায় আমার ডাক চিৎকারে বাড়ির আশে পাশের লোকজন এসে বাবাকে মতলব সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের আরেক মেয়ে সীমা বলেন, আমার ভাইয়ের মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেই আমার বাবাকে ইট দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছে।সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) আহসান হাবিব বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে, এখন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
null
ছেলের ইটের আঘাতে বাবা খুন
politics
https://www.ajkerpatrika.com/193649/%E0%A6%AA%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%97%E0%A6%AD%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E2%80%99-%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8
পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে 'গভীর আলোচনায়' বসবেন পুতিন!
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার জন্য পুতিনই দায়ী-পশ্চিমাদের এমন দাবি নিয়ে ব্যঙ্গ করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, তিনিই যে বিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী তা নিশ্চিত করতেই পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে 'গভীর আলোচনায়' বসবেন তিনি। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পুতিন ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যকার এক বৈঠকে এই ব্যঙ্গ করেন পুতিন। বৈঠকে পুতিন বলেন, পশ্চিমাদের অবরোধ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো করছে।এ সময় লুকাশেঙ্কো বলেন, পশ্চিমা অবরোধ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দুই দেশই ভালো করছে। বরং আত্ম-উন্নয়নের দিয়ে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। পশ্চিমা অবরোধ দুই দেশের জন্য শাপে বর হয়েছে উল্লেখ করে লুকাশেঙ্কো পুতিনকে বলেন, 'অর্থনীতির ক্ষেত্রে আমাদের আত্ম-উন্নয়নের যে সুযোগ এসেছে তা মূলত পশ্চিমা অবরোধের কারণেই। এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদ।' জবাবে মৃদু হেসে পুতিন এতে সায় দেন।পরে লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, 'পশ্চিমা বিশ্বে যা ঘটেছে তা হলো-তাঁরা তাঁদের গণমাধ্যমের খবরে খুব বেশি মাত্রায় বিশ্বাস করে আমাদের খাটো করে দেখেছিল। তাঁদের দেশের মুদ্রাস্ফীতির জন্য তাঁরা পুতিনকে দুষছে, সবকিছুর জন্যই তাঁরা পুতিনকে দোষারোপ করছে।' পুতিন এ সময়ও হেসে সায় দেন।পরে পুতিন হাস্যকর ভঙ্গিতে বলেন, 'এই বিষয়ে আমরা তাঁদের সঙ্গে গভীর আলোচনায় বসব।' জবাবে, লুকাশেঙ্কো হেসে বলেন, অবশ্যই।
ইউরোপ,রাশিয়া,ভ্লাদিমির পুতিন,বেলারুশ,ইউক্রেন,রাশিয়া ইউক্রেন সংকট
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।
international
https://www.dailynayadiganta.com/rangpur/645253/অনৈতিক-সম্পর্কের-বলি-হলেন-জুট-মিল-শ্রমিক-আহেলা
অনৈতিক সম্পর্কের বলি হলেন জুট মিল শ্রমিক আহেলা
রংপুরের গঙ্গাচড়ার সরকারি আবাসনে বসবাসকারী জুটমিল শ্রমিক আহেলা খাতুন (৩৫) বেড়িয়েছিলেন ব্যাংকে রাখা ডিপিএসের টাকা তুলে এনে বসতভিটার জন্য জমি কিনতে। কিন্তু পাঁচ দিন পর তার ক্ষতবিক্ষত লাশ মিলেছে একটি পরিত্যাক্ত বিল্ডিংয়ে। রোববার বেলা তিনটায় গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ক্যাম্পাসের ওই পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ওই ফার্মের নিরাপত্বাকর্মী শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলের সাথে অনৈতিক পরকীয়ার সম্পর্ক এবং ব্যাংকে জমানো ডিপিএসের টাকা নিয়েই হত্যাকান্ডের ঘটনা। তবে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা জানার জন্য ওই নারীর ভ্যাজাইনাল সওয়াবের আলামত সংগ্রহও করেছে পুলিশ। একটি সুরক্ষিত গবেষণা কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনায় এলাকাবাসীও উদ্বিগ্ন। প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, গত বুধবার সকালে রংপুরের বুড়িরহাট গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী মৃত আহাদ আলীর স্ত্রী আহেলা বেগম(৩৫) বসতভিটের জমি ক্রয়ের জন্য ব্যাংকে জমানো ডিপিএসের টাকা তোলার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পাওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তিনি আরো বলেন, ওই ডায়েরিতে ফার্মটির শ্রমিক ও নিরাপত্বাকর্মী শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলের সাথে আহেলার সম্পর্ক এবং ডিপিএসের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরের কথা উল্লেখ করা হয়। জিডিটি নথিভূক্ত হওয়ার পরপরই পুলিশ শহিদুলের বাড়িতে যায়। সেখানে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু শহিদুল আগেই পালিয়ে যায়। জিডির সূত্র থরে ওই গৃহবধুকে অনুসন্ধানে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।
অনৈতিক সম্পর্ক
অনৈতিক সম্পর্কের বলি হলেন জুট মিল শ্রমিক আহেলা
national
https://www.bd-pratidin.com/country/2016/05/27/147306
কাঠ পাচারের সময় নিহত ২, বিজিবি চেকপোস্টে আগুন
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে কাঠ পাচারের সময় বিজিবি'র তাড়া খেয়ে গাড়ি উল্টে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৫) ও মো. জাবেদ (৩৪) নামে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ও বিজির মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০জন। বৃহষ্পতিবার রাতে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে বড়খোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে বিজিবি। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (১৯বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল সোহেল উদ্দিন পাঠান জানান, অবৈধভাবে কাঠ পাচার করার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। নাশকতাকারীরা এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জুয়েল নামে একজনকে আটক করা হয়। আগুনে বিজিবির চেকপোস্টের ঘর ও বিদ্যুতের তার পুড়ে গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রাঙামাটির কাপ্তাই থানার কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার শামন্ত জানান, বিজিবি ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাপ্তাই সার্কেলের এএসপি আবুল কাশেম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম ও কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন। বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ
null
বিজিবি চেকপোস্টে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা
national
https://www.bhorerkagoj.com/2021/06/20/%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a8-%e0%a7%a8%e0%a7%a8-%e0%a6%9c%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b8/
লকডাউন: ২২ জুন থেকে খুলনা স্টেশনে কোন ট্রেন ঢুকবে না
আগামী মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে খুলনায় শুরু হচ্ছে এক সপ্তাহের কঠোর 'লকডাউন'। লকডাউন চলাকালীন সময়ে খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগমন এবং বহির্গমন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আজ রবিবার (২০ জুন) খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, লকডাউন চলাকালীন সময়ে খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগমন এবং বহির্গমন বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে জেলার অভ্যন্তরে অথবা আন্তঃজেলার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ইজিবাইক, থ্রি হুইলার সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। খুলনা জেলা ও মহানগর পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯ জুনের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক খুলনা জেলা ও মহানগরে আগামী ২২ জুন মঙ্গলবার থেকে ২৮ জুন সোমবার পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ এবং লকডাউন ঘোষণা করা হলো। আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ২২ জুন মঙ্গলবার থেকে ২৮ জুন সোমবার পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ শুধু টেকওয়ে অথবা অনলাইনে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। তবে ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। এছাড়া সবধরনের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জেলার অভ্যন্তরে সবধরনের সাপ্তাহিক হাট অথবা গরুর হাট বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে অবস্থানকালে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিসের জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস চলাকালীন সময়ে তাদের নিজ নিজ অফিসের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে বাইরে চলাচল করতে পারবেন।
গণপরিবহন,ট্রেন,লকডাউন,স্টেশন
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন।
national
https://www.bd-pratidin.com/coronavirus/2020/03/19/512268
করোনা আতঙ্ক : গোমূত্র খেয়ে যুবক অসুস্থ
যখন সারা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এবং এটিকে রুখতে রাত-দিন নিরলস গবেষণা করে যাচ্ছেন গবেষকরা, তখন কেবল গোমূত্র পান করেই এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ভারতীয় এক যুবক। করোনা-আতঙ্কে 'গোমূত্র' খেয়ে গলা ও বুকে আরও ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় ভারতের ঝাড়গ্রামের শিবু গরাইয়ের ঠাঁই হয়েছে জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মেডিসিন ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। ঝাড়গ্রাম শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের জামদা এলাকায় থাকেন শিবু। বাড়িতেই কাপড়ের দোকান রয়েছে তার। স্ত্রী, দুই ছেলে নিয়ে সংসার। কয়েক দিন আগে বন্ধুদের সঙ্গে মায়াপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে সেখান থেকে ১৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনেন গোমূত্রের শিশি। তাতে লেখা 'গো-আরক'। ৪২ বছর বয়সী শিবু জানান, বিক্রেতা জানিয়েছিলেন এক থেকে দুই ছিপি ওই 'গো-আরক' নিয়মিত খেলে শরীরের রক্ত দোষ কাটে। করোনাসহ নানা রকম শারীরিক ব্যাধি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। করোনা-ভয় কাটাতে বিশ্বাস করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ছিপি গোমূত্রের আরক খেয়েছিলেন শিবু। তারপরেই শরীরে নানা অস্বস্তি শুরু হয়। গলা ও বুক জ্বলতে থাকে। শিবুর স্বজনরা নিয়ে যান ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। শারীরিক অবস্থা দেখে শিবুকে ভর্তি করে নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিবুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে। এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
null
শিবু গরাই
life-health
https://www.ajkerpatrika.com/91635/%C2%AD%C2%AD%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7-%E0%A6%A6%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E2%80%99-%E0%A6%86%E0%A6%93%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ক্যামেরা চেনাবে অপরাধী
ফেইস ডিটেকশন ও নম্বর রিডেবল ক্যামেরা দিয়ে ভবিষ্যতে অপরাধীদের চিহ্নিত করবে পুলিশ। চট্টগ্রাম নগরীর অপরাধ দমনে নতুন এই উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সিএমপির নতুন 'আই'স অব সিএমপি'র কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় এমন তথ্য জানান সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, 'আই'স অব সিএমপি'র আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ৭০০টি সিসি ক্যামেরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্ব বিবেচনায় ৪১১টি ক্যামেরার সংযোগ সিএমপির কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩২৪টি ক্যামেরা অনস্ক্রিন সচল থাকবে।এসব ক্যামেরার ধারণকৃত ফুটেজ ১৫ দিন পর্যন্ত হার্ডডিস্কে সংরক্ষিত থাকবে। সার্বক্ষণিক দুজন অপারেটর এই সকল ক্যামেরার কার্যক্রম মনিটরিং করবে। পাশাপাশি একটি টেকনিক্যাল টিম মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। নগরের জিইসি, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, অক্সিজেন, পতেঙ্গাসহ অন্তত ৭০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে একটি নির্দিষ্ট রুম থেকে এলাকা পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে বলে জানান সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তাঁর আশা, এতে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।সিএমপি কমিশনার বলেন, এই কার্যক্রমের ফলে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আসামি শনাক্তকরণ সহজ হবে।এ কার্যক্রমের আওতায় ভিডিওভিত্তিক ক্রাইম ম্যাপ তৈরি করা হবে বলেও জানান সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্য অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ওই সব এলাকায় বিশেষ আইপি ক্যামেরার সঙ্গে কর্তব্যরত পেট্রল গাড়ির সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।সার্চ করলেই ভাড়ার তালিকা: এদিকে গন্তব্যের নাম লিখে সার্চ দিলেই স্ক্রিনে ভাড়ার তালিকা ভেসে উঠবে এমন একটি অ্যাপসও চালু করেছে সিএমপি। গতকাল 'হ্যালো সিএমপি' নামের এই অ্যাপসটিও উদ্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই অ্যাপে পুলিশের একগুচ্ছ সেবাও মিলবে।সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, 'ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর ভাড়া নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী এবং চালক-সহকারীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে। এ জন্য আমরা ডিজেলচালিত গাড়িতে লাল এবং গ্যাসচালিত গাড়িতে সবুজ স্টিকার লাগিয়েছি। এর পাশাপাশি একটি অ্যাপ বানিয়েছি, যেটিতে দূরত্ব মেপে ভাড়া দিতে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা।'কমিশনার বলেন, অ্যাপটিতে গন্তব্যের শুরু ও শেষ স্থান নির্ধারণ করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে ভাড়া তালিকা। ওই তালিকায় থাকবে বাস ও মিনিবাস এবং গ্যাসচালিত ও ডিজেলচালিত ক্যাটাগরির ভাড়া। পাশাপাশি বাসের চালক কিংবা সহকারীর হাতে ভাড়া আদায় নিয়ে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হলে নিকটস্থ ট্রাফিক পুলিশকে অবহিত করা যাবে।সেই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ বা সিএমপির কন্ট্রোল নম্বর ৩০৩৫২, ৬৩৯০২২, ৬৩০৩৭৫-এ অভিযোগ জানালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামীনুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিভাগ,চট্টগ্রাম ,ছাপা সংস্করণ,চট্টগ্রাম সংস্করণ,আজকের চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনসে গতকালবক্তব্য দেন সিএমপি কমিশনার
national
https://bangla.dhakatribune.com/sports/2021/12/30/16408733817172214
সাবেক রিয়াল স্ট্রাইকার মোরাতাকে দলে টানতে আগ্রহী বার্সেলোনা
চলমান মৌসুমে একসঙ্গে লিওনেল মেসি আর আন্তোয়ান গ্রিজম্যানের প্রস্থানে বার্সেলোনার আক্রমণভাগ হয়ে পড়েছে একেবারেই নির্বিষ। ফলে দলও ধুঁকছে ভালোই। ২০০১ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে পড়েছে কাতালানরা। আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় তারা জায়গা করে নিতে পারবে কি-না সেটি নিয়েও রয়েছে ঘোর সন্দেহ। দলের আক্রমণভাগের এ দুর্দশা কাটাতে আলভারো মোরাতাকে দলে ভেড়ানোর কথা ভাবছে বার্সেলোনা। মোরাতা নাকি এরই মধ্যে কথা বলেছেন বার্সা কোচ জাভির সঙ্গে। তিনিও বেশ আগ্রহী এ স্প্যানিশ স্ট্রাইকারকে দলে টানতে। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস। এমনিতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড় হলেও বর্তমানে জুভেন্টাসে ধারে খেলছেন মোরাতা। তবে ইতালিয়ান ক্লাবে সময়টা ভাল যাচ্ছে না তার। বাজে ফর্মের কারণে এরই মধ্যে তার বিকল্প খোঁজা শুরু করেছে ওল্ড লেডিরা। হয়ত জানুয়ারিতেই তারা নতুন কোনো ফরোয়ার্ড সাইন করাবে। সব মিলিয়ে জুভেন্টাসে মোটেও সুখী নন মোরাতা। ধার শেষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদেও যে তিনি সুযোগ পাবেন সে সম্ভাবনাও কম। আবার সামনের বছরে স্পেনের বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিতেও নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বার্সেলোনাকে নিজের ভবিষ্যৎ গন্তব্য বানাতে আগ্রহী তিনি। বার্সেলোনা কোচ জাভিও আগ্রহী মোরাতাকে দলে নিতে। ২৯ বছর বয়সী স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের ভার্সেটাইলিটি এবং অভিজ্ঞতায় বেশ গুণমুগ্ধ জাভি। তাছাড়া, রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে লা লিগায় খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। ইতোমধ্যে মোরাতার এজেন্ট হুয়ানমা লোপেজের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বার্সেলোনার। দুই পক্ষ একমত হলে হয়ত আসন্ন জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলেই আবার বার্সেলোনার হয়ে স্পেনে ফিরতে পারেন মোরাতা। তবে সেজন্য ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে (এফএফপি) নিয়মের কারণে বেতন কমাতে হবে তাকে। তবে কোনো কারণে যদি মোরাতাকে দলে ভেড়ানো না যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানিকে ভেবে রেখেছে বার্সেলোনা।
null
আলভারো মোরাতা এএফপি
sports
https://samakal.com/sports/article/220295391/নারী-ক্রিকেট-দলে-করোনার-হানা
নারী ক্রিকেট দলে করোনার হানা
প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে নারী ক্রিকেট দলে করোনার হানা। তিনজনের দেহে মিলেছে ভাইরাসটির উপস্থিতি। তাদের মধ্যে একজন খেলোয়াড়, একজন ট্রেনার, আরেকজন কোচিংস্টাফের সদস্য। এই তিনজনকে ছাড়াই আজ বিশ্বকাপ খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের বাকি সদস্যরা। যারা করোনা পজিটিভ হয়েছেন, তাদের ৮ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। বিসিবি পরিচালক উইমেন্স উইং চেয়ারম্যান শফিকুল আলম চৌধুরী নাদেল গণমাধ্যমে বলেন, 'বাস্তবতা এখন এমন যে, করোনা হতেই পারে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। আমাদের দলের একজন খেলোয়াড়সহ তিনজন আক্রান্ত হয়েছে। তারা ৮ দিন পর টেস্টে নেগেটিভ হলে নিউজিল্যান্ড যেতে পারবে।' বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে বেশ আগে নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মূল আসর শুরুর আগে টাইগ্রেসরা সুযোগ পাবে আইসিসির দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার। তার আগে নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় দলের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেরও ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে বাংলাদেশ দলের বাকি সদস্যদের ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে অনেক সময় হাতে নিয়ে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। মূল টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশ দল আইসিসির দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। তার আগে নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় দলের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। এর বাইরে আরও একটি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টার কথা জানিয়েছেন বিসিবি নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম। আগামী ৪ মার্চ নিউজিল্যান্ডে শুরু হবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ৫ মার্চ ডানেডিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে ৭ মার্চ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবেন নিগার সুলতানারা। এরপর ১৪ মার্চ হ্যামিল্টনে পাকিস্তান, ১৮ মার্চ তাওরাঙ্গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২২ মার্চ হ্যামিল্টনে ভারত, ২৫ মার্চ ওয়েলিংটনে অস্ট্রেলিয়া ও ২৭ মার্চ একই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ৩ এপ্রিল ক্রাইস্টর্চাচে বিশ্বকাপের ফাইনাল।
নারী ক্রিকেট দল,ওয়ানডে বিশ্বকাপ,বাংলাদেশ,বিসিবি,করোনা ভাইরাস
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।বিসিবি
sports
https://www.ajkerpatrika.com/154960/%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AA
ছাত্রদের ধ্বংস করেন জিয়া, বললেন গোলাপ
জিয়াউর রহমান ছাত্রসমাজকে ধ্বংস করেন। তিনি বনভোজনের নামে ছাত্রদের হাতে মদের বোতল তুলে দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তাঁর প্রশ্রয়ে ছাত্ররা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতটায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় কবি নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ আয়োজিত জনসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।এ সময় তিনি আরও বলেন, 'জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি। এটার প্রমাণ পেয়েছি। তেমনি বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন কার্যক্রমে সেটা প্রমাণ করেছে। পাকিস্তানের বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।'জনসভায় সাহেবরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন, মেয়র এস এম হানিফ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ,মাদারীপুর,বরিশাল বিভাগ,জিয়াউর রহমান,মাদারীপুর সদর,ছাপা সংস্করণ,বরিশাল সংস্করণ,বরিশাল ৬
জনসভায় ড. আবদুস সোবাহান
national
https://www.bd-pratidin.com/national/2021/12/23/723700
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার ও ওসিদের অপসারণ দাবি ফখরুলের
বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে অতর্কিত পুলিশি হামলার অভিযোগে পুলিশ সুপারসহ জেলার ৩ কর্মকর্তাকে অপসারণ করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সাতটি জেলায় সমাবেশ ছিল। এর মধ্যে ছয়টিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারলেও হবিগঞ্জে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা করে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এর মধ্যে দশজনের অবস্থা গুরুতর। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, মোকতাদির চৌধুরী ও শাম্মী আকতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান। বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
অপসারণ, দাবি, ফখরুল
-
national
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2020/01/03/488920
সোলেইমানি হত্যা আমেরিকার আহাম্মকি: ইরান
মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমাইনি নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে ইরান। এ ঘটনাকে আমেরিকার জন্য 'মারাত্মক বিপজ্জনক' বলে অভিহিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় জাভেদ জারিফ এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়। 'তার ওপর আমেরিকার এ হামলা ভয়ানক বিপজ্জনক ও আহাম্মকি। এ রকম ভয়ানক 'অ্যাডভেঞ্চারের' সব ধরনের পরিণতির দায় নিতে হবে আমেরিকাকে।' ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা 'ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এ ঘটনায় এরই মাঝে ইরানের উচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সোলেমানি হত্যায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জরুরি নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র কেভান খোসরাভি বলেন আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাগদাদে মার্কিন হামলায় জেনারেল সোলেমানি হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদের সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলেমাইনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। বিডি প্রতিদিন/কালাম
সোলেইমানি, ইরান
কাসেম সোলেইমানি ও জাভেদ জারিফ।
international
https://www.bhorerkagoj.com/2022/05/31/%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%80%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%a8-3/
'নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি-গণসংহতি একমত'
গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে যুগপৎ ধারায় আন্দোলনে বিএনপি একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই ঘণ্টার রাজনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই কথা জানান তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণআন্দোলন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা একমত হয়েছি। আমরা একমত হয়েছি যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে। তিনি আরও বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বাতিল করতে হবে সংসদ। এরপর একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আলোচনায় মৌলিক কোনো মতভেদ দেখিনি। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের নামের বিষয়ে মত ভিন্নতা থাকতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন না নিরপেক্ষ সরকার। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারবো। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন দরকার। এইভাবে যদি একটা জাতীয় রূপরেখা আজকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থেকে হাজির হয়, জনগণ নতুন করে আন্দোলিত হবে। একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারবো। সেজন্য আমরা প্রাথমিকভাবে, যুগপৎ ধারায় আন্দোলন যার যার অবস্থান থেকে পরিচালনা করতে ঐক্যমত হয়েছি। সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারাই ক্ষমতায় থাকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে এবং দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এ জন্য আমরা সংবিধান সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কতগুলো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে, নিম্ন আদালতকে উচ্চ আদালতের অধীনস্থ করতে হবে সব দিক থেকে, তার নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতিসহ। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি করতে হবে এবং জ্যেষ্ঠতার লঙ্ঘন করা যাবে না। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আমরা সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা, সব সাংবিধানিক পদে সাংবিধানিক কমিশনের মধ্য দিয়ে নিয়োগ, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ গঠন সংসদে, প্রদেশ ব্যবস্থা সামনে নিয়ে আসা এবং সব অগণতান্ত্রিক আইন বাতিল করা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট কিংবা আরপিও এই সব আইন, যেগুলো জনগণের ওপর নিপীড়নকারী সেগুলো বাতিল করার কথা বলেছি। গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। এদিকে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেন। অন্যরা হলেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, মুনির উদ্দিন পাপ্পু, হাসান মারুফ রুমি, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ইমরাদ জুলকারনাঈন, বাচ্চু ভুঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান, আলিফ দেওয়ান।
গণসংহতি,ফখরুল,বিএনপি,সাকি
মঙ্গলবার বিএনপি-গণসংহতি আন্দোলনের সংলাপে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জুনায়েদ সাকি।
national
https://www.bhorerkagoj.com/2020/09/24/%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%9f-%e0%a6%b8%e0%a6%ad%e0%a6%be-%e0%a6%b6/
আওয়ামী লীগের সমন্বয় সভা শুক্রবার
দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ। আগামীকাল শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর সমন্বয় সভা আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকালৈ সাড়ে ১০টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিজ্ঞপ্তিতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
null
আওয়ামী লীগ।
national
https://www.bd-pratidin.com/sports/2019/11/20/476416
বাংলাদেশ-ভারতের গোলাপি বলের লড়াই, যা বললেন গাভাস্কার
ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেন্সে পাঁচ দিনের ক্রিকেট-যুদ্ধে নামছে বাংলাদেশ-ভারত। তাও আবার দিন-রাতের ম্যাচে। ভারতের মহানগর সাক্ষী থাকতে চলেছে এক মাহেন্দ্রক্ষণের। ভারত-বাংলাদেশের দু'দেশের প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেট তারকারা তো রয়েছেনই। এছাড়াও ক্রিকেটের স্বর্গোদ্যানে ভারতের মাটিতে প্রথম পিঙ্ক বল টেস্টের স্বাদ নিতে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মত হাইপ্রোফাইল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, লাল বলের তুলনায় গোলাপি বল অনেকটাই বেশি সুইং করে, যা ব্যাটসম্যানদের পক্ষে যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু ভারতীয় দল গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ সাবলীলভাবেই গ্রহণ করবে এবং ইতিবাচক ফলাফলই উপহার দেবে। তবে দিন-রাতের টেস্টের ক্ষেত্রে গোলাপি বল এবং লাল বলের পরিসংখ্যান ভবিষ্যতে আলাদা করার একটি প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে ৩৪টি শতরানের মালিক। পাশাপাশি আগামী প্রজন্ম যাতে ক্রিকেটের বিভিন্ন ফরম্যাট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে, সে কারণে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটেও লা বল ও সাদা বলের পরিসংখ্যান আলাদা করার ক্ষেত্রে সওয়াল করেছেন সুনীল গাভাস্কার। উল্লেখ্য, ইডেনে ঐতিহাসিক দ্বিতীয় টেস্টে শুক্রবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
null
সুনীল গাভাস্কার
sports
https://www.ajkerpatrika.com/118619/%E0%A7%AB-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%81
৫ দিন পর আলমাতি শহরে ইন্টারনেট সংযোগ চালু
মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জেরে শুরু হওয়া সংঘাতের পর দেশটির সরকার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকার। ৫ দিন পর আজ সোমবার আলমাতি শহরে ফের ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়েছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।সহিংস বিক্ষোভের পর গত বুধবার সরকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে শহরের ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর পর থেকে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় এবং বিদেশি ওয়েবসাইটগুলোতে সবাই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ঢুকতে পারছে।রাশিয়া-পশ্চিম দ্বন্দ্বে নতুন উপাদান কি কাজাখস্তানগত ২ জানুয়ারি থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর জেরে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের খবর বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো প্রচার করতে থাকে। কিন্তু কাজাখস্তানের সরকার এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করতে থাকে।গত শনিবার দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচার করা হয় সহিংস সংঘাতে ১৬৪ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। কিন্তু গতকাল রোববার দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয়। তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সংবাদটি প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে প্রচার হয়েছিল।সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশি মিডিয়াগুলো কাজাখস্তান সরকার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের টার্গেট করছে, এমন মিথ্যা প্রতিবেদন করছে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী শুধুমাত্র যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ প্রেসিডেন্টের উত্তপ্ত কাজাখস্তানবার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার আলমাতিতে জীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। সহিংসতা শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শহরের রাস্তায় গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে।উল্লেখ্য, আলমাতি এক সময় কাজাখস্তানের রাজধানী ছিল। অর্থনৈতিক দিক দিয়েও এই শহরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এশিয়া,ইন্টারনেট,কাজাখস্তান
সহিংস সংঘাতের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে আলমাতি শহর।
international
https://www.ajkerpatrika.com/6414/%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A7%80%E2%80%93%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E2%80%98%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E2%80%99-%E0%A7%A7%E0%A7%AE-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0
যাত্রাবাড়ী-ডেমরার মতো 'প্রত্যন্ত' ১৮ ওয়ার্ডের নগরায়ণে মেয়রের বৃহৎ পরিকল্পনা
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সংযুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের (ঢাকেশ্বরী রোডের ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন) অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে যেমন-যাত্রাবাড়ী, ডেমরা। এলাকাগুলোতে এখনো নগরায়ণ সম্পন্ন হয়নি, উন্নত হয়নি। করপোরেশনের নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ড ইউনিয়নভুক্ত ছিল, সেগুলো এখন করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নগরায়ণের বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। আমরা শিগগিরই সেখানে কাজ শুরু করতে পারব।কোরবানির পশুর হাট সম্পর্কে মেয়র বলেন, যেহেতু করোনা পরিস্থিতি, তাই আমরা মাত্র ১৩টি হাট ইজারা দিয়েছি এবং করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে সেগুলো দূরে দূরে দিয়েছি।পরে মেয়র নগরীর আজিমপুর ও বঙ্গভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলস্থ মুসা খাঁ ও ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন। ব্যারিস্টার শেখ তাপস ঢাদসিকের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট নয়টি এসটিএস উদ্বোধন করেন। এ বছরের মধ্যেই করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে একটি করে এসটিএস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিলেন এবং সে মোতাবেক কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। দায়িত্বভার গ্রহণের আগে করপোরেশনের মোট ২১টি এসটিএস ছিল। এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মো. খায়রুল বাকের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা জেলা,শেখ ফজলে নূর তাপস,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন,মেয়র,ঢাদসিক
যাত্রাবাড়ী-ডেমরার মতো 'প্রত্যন্ত' ১৮ ওয়ার্ডের নগরায়ণে মেয়রের বৃহৎ পরিকল্পনা
national
https://www.ajkerpatrika.com/102175/%E0%A6%B8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF
সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা শাখা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩১ সদস্যের এ কমিটিতে আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন সালাউদ্দিন সালু, সদস্যসচিব করা হয়েছে নাসির উদ্দিনকে। গতকাল সোমবার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এ কমিটি অনুমোদন করেছেন।কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে পিয়ার হোসেন, আব্দুল জলিল, বিল্লাল হোসেন, খোরশেদ মোল্লা, সফিকুল ইসলাম, শামীম আহাম্মেদ, আতিক হাসান, নাজমুল করিম, ফয়সাল ভুইয়া, মনির হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলমকে।সালাউদ্দিন সালু জানান, দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে গঠিত এ কমিটি দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করবে।
নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা বিভাগ,সোনারগাঁ,কমিটি,স্বেচ্ছাসেবক,ঢাকা,ছাপা সংস্করণ,রাজধানীর চারপাশ
সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি
national