title
stringlengths
10
148
text
stringlengths
14
34.6k
summary
stringlengths
1
7.08k
টাঙ্গুয়ায় ১২ শর্ত না মানলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা
শর্ত সাপেক্ষে আজ বুধবার থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জলাভুমি রামসার প্রকল্পভুক্ত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. রায়হান কবির নিবন্ধিত পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলে সরকারি নির্দেশনা ও শর্তাবলী দাফতরিক ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন।   ইউএনও আরও জানান, শর্তসাপেক্ষে  যে সকল নৌযানকে ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হয়েছে কেবলমাত্র তাদেরকে ৩ আগস্ট থেকে  তাহিরপুর উপজেলায় পর্যটক বহন করার অনুমতি প্রদান করা হলো।  রেজিস্ট্রেশন/ নিবন্ধন ছাড়া কোন নৌযানে পর্যটক পরিবহন করা হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেজিস্ট্রেশন/ নিবন্ধনকৃত নৌযানগুলো পর্যটক পরিবহকালে যে ১২ শর্ত মানতে হবে সেসব শতগুলো হলো-   ১. নৌযানের নিবন্ধনপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং সার্বক্ষণিক নৌযানে প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।  ২.  নিবন্ধনপত্র উপজেলা প্রশাসন, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ কর্তৃক ঘোষিত সময় অনুযায়ী নবায়ন করতে হবে। ৩.নদী/হাওড়/বিল/পুকুরের পানি ও উন্মক্ত স্থানে কোন ধরনের ময়লা, আবর্জনা ও বর্জ্য  পদার্থ ফেলা যাবে না।   ৪. নৌযানে অবস্থান কালে প্রতিটি নৌযানে সংরক্ষিত ঢাকনাযুক্ত বড় ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।  ৫. নৌযানে লাউডস্পিকার, মাইক প্রভৃতিসহ উচ্চ শব্দ উৎপাদনকারী কোন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। লাইফ জ্যাকেটসহ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত নৌযানে ভ্রমণ করা যাবে না।  ৬. বিরূপ আবহাওয়া নৌযানে  ভ্রমণ করা যাবে না।  ৭. নৌযানে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটক/ যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না।   ৮. নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ তথা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।   ৯. নৌযানে ভ্রমণের সময় কোন ধরনের অসামাজিক কাজ কিংবা অনৈতিক কাজ, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটায় এরুপ কার্যাবলী ঘটানো যাবে না।   ১০. স্থানীয় এলাকাবাসীর ভাবাবেগ এবং সামাজিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।   ১১. নৌযান পর্যটক পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। এবং ১২. নৌযানে চলাচলের সময় পর্যটকদের মালামাল রক্ষার বিষয়ে এবং দুষ্কৃতিকারীদের বিষয়ে নৌযান মালিকপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান কবির যুগান্তরকে বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে নিবন্ধনকৃত পর্যকবাহী নৌযান গুলোকে ১২শর্ত না মানলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা ও নৌযানে নিবন্ধন বাতিল, পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে অভিযুক্ত নৌযানকে পর্যটক পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হবে।
শর্ত সাপেক্ষে আজ বুধবার থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জলাভুমি রামসার প্রকল্পভুক্ত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওড়েপর্যটকবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় হুমকি!
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বিমানবন্দরসংলগ্ন ২টি বেসরকারি তারকা হোটেল ও ১টি শপিং কমপ্লেক্সসহ ৫টি বহুতল ভবন। বিমানবন্দরে আসা দেশি-বিদেশি ভিআইপিদের চলাচলে মারাত্মক হুমকি হতে পারে এই স্থাপনাগুলো। ভবনগুলো থেকে বিমানবন্দরের প্রতিটি স্পর্শকাতর স্থান দেখা যায়। বহুতল ৫টি ভবনের ছাদ ব্যবহার করে যে কোনো ধরনের নাশকতা হতে পারে। হতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও। অভিযোগ উঠেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই এ রকম একটি স্পর্শকাতর এলাকায় বেসরকারি মালিকানার ৫টি বহুতল ভবন করার অনুমতি দিয়েছে। সিদ্ধান্তটি বেবিচকের চরম অদূরদর্শী ছিল। ভবনগুলো চালু হলেই আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দরটি বড় ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এলাকাজুড়ে তৈরি হবে চরম যানজট। এ অবস্থায় কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) কর্তৃপক্ষ, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), এনএসআই ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের ১টি ১২ তলা ৫ তারকা হোটেল, ১টি ১৩ তলা ৩ তারকা হোটেল ও ১টি ৬ তলা শপিং কমপ্লেক্স, ১টি ১২ তলা কার পার্কিং ও অফিস কমপ্লেক্স এবং ১টি ৩ তলা ব্যাংকুয়েট হল যাতে কোনোভাবে চালু করতে না পারে সেজন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ২০ জুলাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত কেপিআইডিসির সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ ঘটনায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি শাহজালালের সীমানা প্রাচীর থেকে নির্মিত ভবনগুলোর দূরত্ব নির্ধারণপূর্বক প্রতিবেদন তৈরি করে বেবিচক ও কেপিআইডিসির কাছে পাঠানো হবে। বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ইপকো কর্তৃক নির্মিত হোটেল ও মার্কেটের ২ শতাংশ মালিকানা সিভিল এভিয়েশনের। যেহেতু কেপিআই কর্তৃপক্ষের এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালুর ব্যাপারে আপত্তি আছে তাই সব সংস্থা সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই বহুতল ভবনগুলো চালুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষও সোমবার এক জরুরি সভায় কেপিআইডিসির এই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে দেশের দুটি শীর্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট ও ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানাধীন এই ভবনগুলো নিয়ে এখন বড় ধরনের দুশ্চিন্তায় পড়েছে সরকার। ভবন নির্মাণের অনুমতি ও লিজ ছাড়পত্র দিয়েও বেকায়দায় আছে বেবিচক। ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেছে ২০২১ সালে। কিন্তু নানা বাধ্যবাধকতার কারণে এক বছর ধরে ভবনগুলো চালু করতে পারছে না। এ অবস্থায় বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছে ৪ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই প্রকল্পটি। কেপিআই কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, বহুতল ভবনগুলো চালু হলে বিমানবন্দর এলাকায় চরম যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেপিআইডিসির সভাপতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ হোসেন। এ সময় কেপিআইডিসির আরও ১৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় বলা হয়, সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি ইপকো, সামিট গ্রুপ ও ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানাধীন ৫টি বহুতল ভবনের কারণে বড় ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়তে পারে কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সভায় এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করে অবৈধভাবে কেপিআই স্থাপনার মধ্যে এ ধরনের হোটেল ও মার্কেট নির্মাণের জন্য ভূমির বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চরম অদূরদর্শিতা বলেও মন্তব্য করা হয়। জানা গেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সঙ্গে বিওটি ও ল্যান্ড লেসি চুক্তির আওতায় বাস্তবায়নাধীন ইপকো হোটেল প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন ইপকো ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, কেপিআই জরিপ কমিটি ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন পাঠায়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১ ‘ক’ শ্রেণির কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। ১২৯৮ একর জমির ওপর বিমানবন্দরের অবস্থান। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণে বিমানবন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিনিয়ত এই রুটে দেশি-বিদেশি যাত্রী আসা-যাওয়া এবং পণ্যবাহী বিমান ওঠানামা করে। কেপিআইর অভ্যন্তরে কোনো ভবন নির্মাণ করতে হলে কেপিআইডিসির অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কেপিআইডিসির অনুমোদন ছাড়া বেবিচক সিঙ্গাপুরের সংস্থা ইপকো ডেভেলপমেন্টকে ২০০০ সালে ৬০ বছরের জন্য ১৫ দশমিক ৭৪ একর জমি লিজ দেয়। শুরুতে ইপকো ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও বেঙ্গল গ্রুপ যৌথভাবে ২০০০ সালেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে ইপকো হোটেলস ও শপিং কমপ্লেক্সের নামে নকশা অনুমোদন করে। তারা বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে একটি ১২ তলাবিশিষ্ট পাঁচ তারকা হোটেল, একটি ১৩ তলাবিশিষ্ট তিন তারকা হোটেল, একটি ৬ তলা শপিং কমপ্লেক্স, একটি ১২ তলা কার পার্কিং ও অফিস কমপ্লেক্স এবং একটি তিনতলা ব্যাংকুয়েট হলের নির্মাণকাজ শুরু করে। ভবনগুলোর কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। এরপর প্রকল্পটির মালিকানায় যোগ হয় সামিট ও ইউনাইটেড গ্রুপ। ২০১১ সালে ইপকো, সামিট গ্রুপ ও ইউনাইটেড গ্রুপ যৌথভাবে পুনরায় ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শুরু করে। এতে ব্যয় হয় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ। ২০২১ সালে ভবনগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হয়। বেবিচকের একটি সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর বেবিচকের জরিপ কর্তৃপক্ষ কেপিআইডিসির কাছ থেকে ভবন নির্মাণের অনুমতি ও নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি নেই কোনো সংস্থার কাছে। এমনকি চুক্তির বিষয়টি কেপিআইডিসির সভাপতি ও জরিপ কমিটির সভাপতিকে অবহিত পর্যন্ত করা হয়নি। কেপিআইডিসির সভায় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে বেবিচকের সঙ্গে সমন্বয় করে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে কেপিআইডিসির কাছে পাঠাতে বলা হয়। এছাড়া কেপিআই জরিপ কমিটির প্রতিবেদনে বর্ণিত যেসব নিরাপত্তাঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বেবিচক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর থেকে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর দূরত্ব নির্ধারণ করে কেপিআইডিসির কাছে প্রতিবেদন পাঠাতে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। এর আগেও কেপিআইর একটি জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ঘাটতি, ফ্লাডলাইট ও দুর্বল সিসিটিভি ক্যামেরার কারণে এলাকাটি নিরাপত্তাঝুঁকিতে আছে। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে এই জরিপ চালানো হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই জরিপের প্রতিবেদন জমা দেন তারা। ওই প্রতিবেদনেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি নিরাপত্তাঝুঁকির মধ্যে আছে বলে জরিপ দলটি জানিয়েছিল। প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এখন বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। কাজের প্রায় ৩০ শতাংশ শেষ। ওই প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, বিমানবন্দরের খুব কাছেই অনেক উঁচু উঁচু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণেও এর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বিমানবন্দরে প্রবেশকারী যানবাহন নিচ থেকে স্ক্যান করার জন্য চারটি গেটে ক্যামেরা বসানোর জোরালো সুপারিশ করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বিমানবন্দরসংলগ্ন ২টি বেসরকারি তারকা হোটেল ও ১টি শপিং কমপ্লেক্সসহ ৫টি বহুতল ভবন।
কানাডার উদ্দেশে উড়াল দিল বিমানের প্রথম ফ্লাইট
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কানাডার টরন্টোর উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট। মঙ্গলবার মধ্যরাত ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি টরন্টোর উদ্দেশে রওনা হয়। প্রথম ফ্লাইটে যাত্রী ছিল মোট ১৫৪ জন । বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভোর সাড়ে ৩টায় বিজি ৩০৫ ফ্লাইটটি টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রার পর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ১ ঘণ্টা যাত্রাবিরতি দেবে। সেখানে উড়োজাহাজের জ্বালানি নেওয়া হবে। সে সময় যাত্রীদের উড়োজাহাজেই থাকতে হবে।তবে টরন্টো থেকে ফেরার সময় ফ্লাইটটি সরাসরি ঢাকা আসবে। ফ্লাইটটি প্রায় ২০ ঘণ্টা আকাশে উড়ে টরন্টো পৌঁছাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরতে সময় লাগবে ১৬ ঘণ্টা। বিমান জানিয়েছে, ঢাকা-টরন্টো রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ঢাকা-টরন্টো-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসে রিটার্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।সপ্তাহে প্রতি বুধবার বিজি ৩০৫ বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টরন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করবে। যাত্রাপথে ফ্লাইটটি রিফুয়েলিংয়ের জন্য স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে। সেখানে ১ ঘণ্টা বিরতি শেষে ইস্তাম্বুল থেকে রওনা হয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছাবে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কানাডার টরন্টোর উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট।
মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়!
১৮০০ রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে মাত্র ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট দি‌য়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করা হলে রাস্তায় কাফনের কাপড় প‌রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করার হুমকি দিয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল শেরাটনে বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট আয়োজিত ‘স্বল্প ব্যয়ে মর্যাদাপূর্ণ সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই হুশিয়ারি দেন  বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার। তিনি ব‌লেন, তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেট পূর্বের ন্যায় শ্রমিকদের কাছ থেকে আবারও ৩/৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে চায় এবং আমাদের ১৬০০ এজেন্সির রিজিক হরণ করে দেশের সুনাম নষ্ট করতে চায় তারা শ্রম বাজার বন্ধ করার পায়তারা করছে।  সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার কারণেই মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার এখনো চালু হচ্ছে না দাবি করেন তিনি। মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, আমরা চাই মালয়েশিয়ার বাজার আগের মতো যেন বন্ধ না হয়। আমরা যেন সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করার সুযোগ পাই। মাহাথির মোহাম্মদ সরকার গঠন করে দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। দুর্নীতি যে হয়েছে সেটা সে দেশের সরকার স্বীকার করেছে। সে দেশের সরকার স্বীকার করেছে যে কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে।  মোহাম্মদ আবুল বাশার ব‌লেন, যদি আবার সিন্ডিকেট করা হয় তাহলে কি দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব? কারণ একটি চক্র তো টাকা নিয়েছে। সেই টাকা তো তাদের তুলতে হবে।  বায়রার সাবেক সভাপতি ব‌লেন, সরকার যদি আমাদের সুযোগ দেয় তাহলে সরকার নির্ধারিত ফিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাব। এক লাখ ২০ হাজার টাকায় আমরা কর্মী পাঠাব মালয়েশিয়ায়।  মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান, বায়রার সাবেক সভাপতি নূর আলী, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড.তাসনীম সিদ্দিকী, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার ওয়ারবির চেয়ারপারসন সৈয়দ সাইফুল হক, অভিবাসন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ, সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় সংসদের মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার প্রমুখ।
১৮০০ রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে মাত্র ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট দি‌য়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করা হলে রাস্তায় কাফনের কাপড় প‌রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করার হুমকি দিয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।
ইজিবাইকে বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা অনুমোদনের আওতায় এনে নিবন্ধন প্রদান করা হলে বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে। বর্তমানে এ খাতের বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজরা নিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকার এসব যানবাহন থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যাটারি ও মোটরচালিত অটোরিকশা অটোবাইক সার্ভিস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।  এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম, আইন উপদেষ্টা ও পরিচালক অ্যাডভোকেট মো. জাহিদুল ইসলাম, পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান রানা প্রমুখ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় ইজি বাইকসহ এ ধরনের যানবাহনকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ওই প্রজ্ঞাপনের আলোকে নিবন্ধন দেওয়ার কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করছে না। বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে সরকার সারা দেশের ৪০ লাখ ইজিবাইক অটোরিকশা থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ ট্যাক্স সহকারে আনুমানিক আট হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারে।
ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা অনুমোদনের আওতায় এনে নিবন্ধন প্রদান করা হলে বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে। বর্তমানে এ খাতের বিপুল অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজরা নিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকার এসব যানবাহন থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
ট্রেজারি বিলের সুদে ‘পাগলা ঘোড়া’
একদিকে ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট, অন্যদিকে সরকারকে চাহিদা অনুযায়ী বাড়তি ঋণের জোগান দিতে গিয়ে ব্যাংক খাতের নাভিশ্বাস উঠেছিল। এর মধ্যেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিলের সুদের হার নানা কৌশলে চাপিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আইএমএফ-এর পরামর্শে চড়া মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে মুদ্রানীতি ব্যবহার করতে গিয়ে ঋণের সুদহার বাড়াতে হয়েছে। তখনই ‘পাগলা গোড়া’র গতিতে বেড়েছে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার। গত দুই বছরে এর সুদ বেড়েছে সাড়ে তিনগুণের বেশি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য ঋণের সুদহারও। একই সঙ্গে অন্যান্য বিল বন্ডের সুদহারও বেড়েছে। ফলে ব্যাংক খাতে এখন সুদ বাড়ার দৌড় চলছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঋণগ্রহীতারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি স্বীকার করে নিয়ে তাদের জন্য কিস্তিতে সীমিত ছাড় দিয়েছে। তবে এতে কোনো সুফল মিলবে না-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত হিসাবে সংস্থাটি বাংলাদেশকে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে মুদ্রানীতি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে দাম বাড়তে থাকে। তখন বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতিও বাড়তে থাকে। বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ শতাংশের ঘরে ওঠে, যা দেড় বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকেই সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করতে থাকে। কিন্তু ওই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়ানো ছাড়া বাজারে ঋণের সুদহার তেমন একটা বাড়ায়নি। ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তা ঋণ ছাড়া বাকি সব খাতেই ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশে বেঁধে রাখে। এতে মূল্যস্ফীতি কমেনি, উলটো বেড়েছে। আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে মে মাসে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিকে ব্যবহার করার ওপর জোর দেয়। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের জন্যও সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করার ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে ঋণের সুদহার বাড়াতে করিডর ঘোষণা করে। এতে সুদহার বাড়ানোর জন্য সরকারের ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদহারকে ভিত্তি ধরা হয়। এর সঙ্গে নির্ধারিত অংশ যোগ করে জুলাই থেকে সব ধরনের ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হচ্ছে। এর পর থেকেই ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার ‘পাগলা ঘোড়া’র গতিতে বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে অন্যান্য ঋণের সুদহারও। আন্তর্জাতিকভাবে সাধারণত ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদের হারকে ভিত্তি ধরে এর সঙ্গে কিছু অংশ যোগ করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হয়। লন্ডন ইন্টার ব্যাংকে বিভিন্ন উপকরণ আছে। এর মধ্যে লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেটে (লাইবর) সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছয় মাস মেয়াদি ডলার ও ইউরো বন্ড। মঙ্গলবার এর সুদ ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর সঙ্গে দুই বা তিন বা আরও কম-বেশি যোগ করে সুদ নির্ধারিত হয়। আগে লাইবর রেট ছিল দেড় শতাংশের নিচে। ছয় মাস মেয়াদি ইউরো বন্ডের রেট এখন ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মার্কিন মুদ্রাবাজারে সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগে ছিল ২ শতাংশের নিচে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সুদহার বাড়িয়েও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বাংলাদেশে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদ ছিল ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। ২০২২ সালের মার্চে তা সামান্য কমে ৩ দশমিক ০৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর জুনে তা দ্বিগুণ বেড়ে ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশে ওঠে। ওই সময়ে ট্রেজারি বিল বিক্রি করে সরকারের ঋণের চাহিদাও বেড়ে যায়। একই সময়ে ব্যাংকে ছিল তারল্য সংকট। যে কারণে সুদহার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে তা ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে দাঁড়ায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে তা আবার বেড়ে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশে ওঠে। ২০২৩ সালের মার্চে সামান্য কমে ৭ দশমিক ০১ শতাংশে নামে। জুনে আবার বেড়ে ৭ দশমিক ০৭ এবং সেপ্টেম্বরে আরও বেড়ে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশে ওঠে। ডিসেম্বরে এক লাফ দিয়ে ওঠে ১১ দশমিক ০৯ শতাংশে। জানুয়ারিতে তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারিতে ১১ দশমিক ৪২ শতাংশে ওঠে। মার্চে গড় সুদ দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর সঙ্গে সাধারণ ঋণে ৩ শতাংশ যোগ করে সুদ হচ্ছে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত জুন পর্যন্ত ছিল ৮-৯ শতাংশ। কৃষি ও পল্লিঋণে ২ শতাংশ যোগ করে সুদ হচ্ছে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা জুন পর্যন্ত ছিল ৮ শতাংশ। ভোক্তা ঋণে সুদ আগে ছিল ৯ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে। জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে সুদহার বেড়েছে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি। ট্রেজারি বিলের সুদ বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণের বেশি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদ ৪ থেকে বেড়ে ৮ শতাংশ হয়েছে; কিন্তু মূল্যস্ফীতির হার কমেনি। উলটো এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত মাসে এ হার বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে নেমে এসেছে। ইউরোপের মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমেছে। এদিকে ব্যাংকে তারল্য কমে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জুনে তারল্য ছিল ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এখন তা ৪ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এর মধ্যেও সরকার বাড়তি ঋণ নিচ্ছে। গত অর্থবছর সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিয়েছিল ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিচ্ছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকে তারল্য সংকট আরও বেড়েছে। ২০২১ ডিসেম্বরে সরকারের ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ঋণের স্থিতি ছিল ১৩ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ায়। ২০২৩ সালের মার্চে তা আরও ২৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা হয়। জুনে আরও বেড়ে ৪১ হাজার ২৮০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে ৪১ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা হয়। ডিসেম্বরে আবার ২৮ হাজার ১০ কোটি টাকায় নেমে আসে। তারপরও ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বাজারে সরকারের চারটি ট্রেজারি বিল ও ৫টি বন্ড রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ১৪, ৯১, ১৮২ ও ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিল। বন্ডের মধ্যে রয়েছে ২, ৫, ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড। সবকটির সুদের হারই বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদ, যা সাড়ে ৩ গুণের বেশি। অন্যগুলোর সুদহার দ্বিগুণের কম বেড়েছে।
একদিকে ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট, অন্যদিকে সরকারকে চাহিদা অনুযায়ী বাড়তি ঋণের জোগান দিতে গিয়ে ব্যাংক খাতের নাভিশ্বাস উঠেছিল। এর মধ্যেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিলের সুদের হার নানা কৌশলে চাপিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আইএমএফ-এর পরামর্শে চড়া মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে মুদ্রানীতি ব্যবহার করতে গিয়ে ঋণের সুদহার বাড়াতে হয়েছে। তখনই ‘পাগলা গোড়া’র গতিতে বেড়েছে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার। গত দুই বছরে এর সুদ বেড়েছে সাড়ে তিনগুণের বেশি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য ঋণের সুদহারও। একই সঙ্গে অন্যান্য বিল বন্ডের সুদহারও বেড়েছে। ফলে ব্যাংক খাতে এখন সুদ বাড়ার দৌড় চলছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঋণগ্রহীতারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি স্বীকার করে নিয়ে তাদের জন্য কিস্তিতে সীমিত ছাড় দিয়েছে। তবে এতে কোনো সুফল মিলবে না-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই বড় চ্যালেঞ্জ
বিদেশি ঋণ, সুদ ও ভর্তুকির মতো ব্যয় মেটাতে রাজস্ব খাতের চাপ কাটছে না। ব্যয় আরও বৃদ্ধির কারণে চাপ আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আয়ের লক্ষ্যমাত্রা সম্প্রসারণ মূলক হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য খুব বেশি বাড়ছে না। সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ১০ শতাংশ ধরা আছে। সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করার পরও দেশের ভেতর থেকে সম্পদ আহরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছে অর্থ বিভাগ। পুরোপুরি আদায় নিয়েও সংশয় রয়েছে অর্থনীতিবিদদের। জানতে চাইলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান যুগান্তরকে জানান, সম্পদ আহরণ আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও অর্থনীতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সংকটগুলো কেটে যাচ্ছে। ডলারের সরবরাহ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা রাজস্ব আহরণকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ ব্যয় মোকাবিলায় আয় বাড়াতে হবে। সাবেক অর্থ সচিব (সিনিয়র) মাহবুব আহমেদ শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। ফলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি না বাড়লে রাজস্ব আয়ও বাড়বে না। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার দেখা যাচ্ছে না। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রযুক্তিগত, প্রশাসনিক ও আইনি কাঠামোগত সংস্কার করতে হবে। বিশেষ করে কাগজবিহীন ও স্বচ্ছ কর পদ্ধতি চালু করা দরকার। এনবিআরকে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর অধীনে রাখা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর নামে দুটি বোর্ড তৈরি করা প্রয়োজন। রাজস্ব খাত নিয়ে গবেষণা ও পর্যালোচনার জন্য পৃথক উইং থাকতে হবে। এসব খাতে সংস্কার আনা হলে রাজস্ব আয় বাড়ানো যাবে। বৃহস্পতিবার আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল এবং বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠক হয়। দুটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে রাজস্ব খাত নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রমতে, আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেটে ব্যয় পরিকল্পনা করছে অর্থ বিভাগ। এতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি। এরমধ্যে কর খাত থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত আয় ধরা হয় ৫০ হাজার কোটি টাকা। কর আদায়ের মধ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত থেকে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এনবিআরবহির্ভূত খাত থেকে আদায় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল বৈঠকে আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে ১০ লাখ বা এর বেশি মূসক (ভ্যাট) পরিশোধের ক্ষেত্রে ই-পেমেন্ট বা এ-চালান বাধ্যতামূলক করা হবে। বর্তমান ই-পেমেন্ট বা এ চালান শুধু ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি ভ্যাট পরিশোধে ব্যবহারের বিধান আছে। সেটি কমিয়ে আনলে এ খাত থেকে অনিময় দূর হবে এবং রাজস্ব আহরণ বাড়বে। এছাড়া ইলেকট্রনিকস টেক্স ডিটেকশন সোর্স (ইটিডিএস) অনলাইন প্ল্যাটফরম চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি, সেবার মান উন্নয়ন ও রাজস্ব আদায় বাড়াতে আয়কর আইন-২০২৩ প্রয়োগ করা হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে অনেক আয়করদাতা আছেন কিন্তু তারা কর দিচ্ছেন না। তাদের করজালের আওতায় আনতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইডিএফ মেশিন স্থাপনের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। খুব শিগগিরই বহু প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনা হবে। এছাড়া নতুন করদাতাদের করজালে আনতে বিআরটিএ, সিটি করপোরেশন, ডিপিডিসির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংশ্লিষ্টদের মতে চলতি অর্থবছরে প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। এই সময়ে নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে কমানোর পরও ১৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। যদিও এই সময়ে প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশ হয়েছে। রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানি বৃদ্ধির কারণে ফেব্রুয়ারিতে এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অর্থ বিভাগের বাজেট নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিগত কয়েক বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। ওই সময় অর্থনীতির স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে একটি বিশেষ সময়ের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ঊর্ধ্বমুখীভাব বিরাজ করছে মূল্যস্ফীতির হারে। ব্যবসা বাণিজ্য খুব ভালো হচ্ছে না। ফলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় আছে। চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিলে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে গত বছরের আদায়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হতে হবে প্রায় ৩০ শতাংশ। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এত বেশি হারে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি কোনো বছরই হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। বাকি ৪ মাসে আদায় করতে হবে ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বিদেশি ঋণ, সুদ ও ভর্তুকির মতো ব্যয় মেটাতে রাজস্ব খাতের চাপ কাটছে না। ব্যয় আরও বৃদ্ধির কারণে চাপ আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আয়ের লক্ষ্যমাত্রা সম্প্রসারণ মূলক হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য খুব বেশি বাড়ছে না। সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ১০ শতাংশ ধরা আছে। সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করার পরও দেশের ভেতর থেকে সম্পদ আহরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছে অর্থ বিভাগ। পুরোপুরি আদায় নিয়েও সংশয় রয়েছে অর্থনীতিবিদদের।
শুল্ক ফাঁকিতে দায় নেই কাস্টমসের!
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনে গত এক বছরে ৮ হাজার ৩০১ টন আমদানি পণ্য শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই খালাস করা হয়েছে। ওজনে কারচুপির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য বন্দর অপারেটরকে দায়ী করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর! যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ ছাড়া এককভাবে বন্দরের পক্ষে কারচুপি করা সম্ভব নয়। মিয়ানমার থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা, পেঁয়াজ, নারিকেল, সুপারি, কাঁচা মাছসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। আমদানি পণ্যের ওজনে কারচুপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশে শুল্ক গোয়েন্দা ১০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন খানকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি টেকনাফ শুল্ক স্টেশন, ইউনাইটেড পোর্টল্যান্ড লিমিটেড ও অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে রক্ষিত আমদানির তথ্য যাচাই-বাছাই করে কারচুপির অভিযোগের সত্যতা পায়। টেকনাফ বন্দরের আমদানির তথ্য পর্যালোচনা করে শুল্ক গোয়েন্দারা দেখতে পান-বন্দর অপারেটরের হিসাবে এক বছরে (জানুয়ারি-২০২৩-জানুয়ারি-২০২৪) এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। অন্যদিকে কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের তথ্য অনুযায়ী-এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৭০ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। দুই সংস্থার আমদানির তথ্যে ৮ হাজার ৩০১ টন পণ্যের গরমিল পাওয়া যায়। শুল্ক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়-আমদানি পণ্যের বিপরীতে বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পর পণ্যের কায়িক পরীক্ষার বিধান রয়েছে। কিন্তু এর আগেই কিছু পণ্য সরাসরি জাহাজ থেকে ট্রাকে বোঝাই করা হয় এবং কিছু পণ্য ওয়্যারহাউজে সংরক্ষণ করা হয়। ট্রাকে বোঝাইয়ের পর পণ্যের ওজন করা হয়। যদিও কাস্টমস আইনে এ সংক্রান্ত কোনো বিধিবিধান নেই। কাস্টমস কর্মকর্তারা ট্রাকে পণ্য বোঝাইয়ের সময় ৫-১০ শতাংশ পণ্য এবং ওয়্যারহাউজে রক্ষিত পণ্য খালাসের আগে ৫-১০ শতাংশ পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পণ্যের ওজন স্কেলের পরিমাপ তথ্য ম্যানুয়ালি এক্সেল শিটে এন্ট্রি দেওয়া হয়। যা সহজেই পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজন করা যেতে পারে। ট্রাকবোঝাই পণ্যের খালাসের দিনই বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া হয় এবং পরে শুল্কায়ন করা হয়। কাস্টমস শুল্কায়ন করলে শুল্ককর পরিশোধ সাপেক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ আউট পাশ ইস্যু করে। বন্দরে প্রবেশ করা ট্রাক এন্ট্রি বা এক্সিটের যথাযথ অনুমোদন নেওয়া হয় না। ভ্যাটের হেফাজতে থাকা কম্পিউটারের তথ্য গায়েব! : পণ্য আমদানির সঠিক তথ্য জানতে শুল্ক গোয়েন্দা ১৭ জানুয়ারি ইউনাইটেড পোর্টল্যান্ডের অফিসে হানা দেয়। কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে শুল্ক গোয়েন্দারা জানতে পারেন-একদিন আগে অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ভ্যাটের ১৫ সদস্যের দল প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালিয়ে ওজন স্কেল সংশ্লিষ্ট চারটি সিপিইউ ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি কক্সবাজার ভ্যাট অফিসে বন্দর অপারেটরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও ওজন স্কেলের সুপারভাইজারের উপস্থিতিতে জব্দ সিপিইউ চালু করে দেখতে পায়-১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে ওজন স্কেলের সফটওয়্যার ‘স্কেল ওয়েট’ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সব তথ্য সিপিইউ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। তথ্য উদ্ধারে কক্সবাজার থেকে আইটি এক্সপার্ট নেওয়া হলেও মুছে ফেলা তথ্য উদ্ধার করা যায়নি। অর্থাৎ যে দিন দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দা ইউনাইটেড পোর্টল্যান্ডের অফিসে হানা দেয়, সে দিন সন্ধ্যায় ‘স্কেল ওয়েট’ সফটওয়্যার থেকে তথ্য মুছে ফেলা হয়। ভ্যাটের হেফাজতে জব্দ কম্পিউটার থেকে কীভাবে তথ্য মুছে ফেলা হলো বা মুছে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অথচ শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিবেদনে এ ঘটনায় গাফিলতির জন্য কাস্টমসের কাউকে দায়ী করা হয়নি। কাস্টমস কর্মকর্তাদের সখ্য আড়াল : একটি জাহাজ বন্দরে আসার সঙ্গে সঙ্গে জাহাজের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাস্টমসে আইজিএম দাখিলের বিধান আছে। কিন্তু টেকনাফ শুল্ক স্টেশনে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে আইজিএম জমা দেয় মেনিফেস্ট শাখার কর্মকর্তা! এক জাহাজে একাধিক আমদানিকারকের পণ্য থাকলে একটি আইজিএমের পরিবর্তে একাধিক আইজিএম কাস্টমস কর্মকর্তাদের ইউজার আইডি থেকে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে জমা দেওয়া হয়। শুল্ক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, টেকনাফ বন্দরে সঠিকভাবে আইজিএম দাখিল ও বহির্গমনের কার্যক্রম আইন পরিপালন হচ্ছে না। এর ফলে জাহাজে কী পরিমাণ পণ্য আনা হয়েছে, কী পরিমাণ পণ্য বন্দরের ওয়্যারহাউজে মজুত আছে এবং কী পরিমাণ পণ্যের বিপরীতে শুল্ক-কর পরিশোধ করা হচ্ছে তা পরিমাপ করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে রাজস্ব ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব যুগ্ম পরিচালক সাইফুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, টেকনাফ শুল্ক স্টেশনে ওজনে কারচুপির পেছনে বন্দরে জাহাজে পণ্য আগমন থেকে ট্রাকে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সিস্টেমে কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন আগে এক্সিট পাশ ইস্যু করত বন্দর কর্তৃপক্ষ, এখন করছে কাস্টমস। এ ধরনের ত্রুটিগুলো ঠিক করতে পারলে রাজস্ব ক্ষতি বহুলাংশে বন্ধ হবে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছাড়া কারচুপি সম্ভব কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় সময়ের স্বল্পতা থাকায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আরও তদন্ত হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদনে ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়েছে। পচনশীল পণ্য যেমন-আদা, পেঁয়াজ, তেঁতুল, আচার, নারিকেল, কাঁচা মাছ ইত্যাদি মিয়ানমারের ট্রলার থেকে সরাসরি ট্রাকে পণ্য উঠানো হয়। কিন্তু সেটিও কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হয়। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করা ছাড়া পণ্য কোনোভাবেই বন্দরের বাইরে নেওয়া সম্ভব নয়। ওজনে কারচুপির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটলে তা বন্দর-কাস্টমসের যোগসাজশেই ঘটেছে। অথচ প্রতিবেদনে একতরফাভাবে বন্দর অপারেটরকে দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে কক্সবাজার ভ্যাট সার্কেলে রক্ষিত কম্পিউটার থেকে কীভাবে তথ্য মুছে ফেলা হলো, এর পেছনে ভ্যাট কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে টেকনাফ বন্দর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পোর্টল্যান্ড লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত রিপোর্ট এখনো দেখিনি। ওজনে কারচুপির তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হলে-তা সত্য নয়। কারণ ওজনে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনে গত এক বছরে ৮ হাজার ৩০১ টন আমদানি পণ্য শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই খালাস করা হয়েছে। ওজনে কারচুপির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য বন্দর অপারেটরকে দায়ী করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর! যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ ছাড়া এককভাবে বন্দরের পক্ষে কারচুপি করা সম্ভব নয়। মিয়ানমার থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা, পেঁয়াজ, নারিকেল, সুপারি, কাঁচা মাছসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের ফর্মুলা
কর জিডিপির অনুপাত ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো গেলে বর্তমান যে রাজস্ব আদায় হচ্ছে এর তুলনায় অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। বিদ্যমান কর হার না বাড়িয়েও এ পরিমাণ অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করা যাবে। এটি হলে কর জিডিপির অনুপাত ১০ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হবে। ফলে আইএমএফের শর্তও পূরণ করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমান রাজস্ব প্রশাসন বা কর ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভব হবে না।  এছাড়া বাড়তি কর আদায় করতে হলে রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের বিকল্প নেই। পাশাপাশি কর ব্যবস্থার অটোমেশন, কর আদায় খরচ কমানো এবং দুর্নীতি প্রতিরোধসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলে কর আদায় বাড়বে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বৈষম্য আরও গভীর হতে পারে।  পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও সেন্টার অন ডমেস্টিক রিসোর্স মবিলাইজেশন (সিডিআরএম) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এভাবে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় বাড়ানোর ফর্মুলা দেওয়া হয়।  বুধবার রাজধানীর বনানীতে পিআরআই কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।  এতে বক্তব্য রাখেন পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার, নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এবং একই সংস্থার গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পিআরআই পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার।  ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, রাজস্ব আয় বাড়াতে ব্যক্তিগত করের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। ১৯৯১ সালে এক্সসাইজ কর বাতিল না করে ভ্যাট পদ্ধতি আনা হয়। এক্ষেত্রে যেটি হয় সেটি হলো ভ্যাট আসে ভোগ থেকে, আর এক্সসাইজ আসে উৎপাদন থেকে। তাই এক্সসাইজ থেকে সরে আসা দরকার। এর পরিবর্তে ভ্যাটের ওপর আমাদের যে নির্ভরতা আছে সেটি বাড়াতে হবে। আমেরিকা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ সরাসরি ট্যাক্সের ওপর নির্ভরশীল। ভ্যাট হচ্ছে এমন একটা বিষয় যারাই ভোগ করবে তাদেরকেই দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো বয়সের মানুষ এই করের আওতায় পড়ে। তবে ভ্যাটের বর্তমান কাঠামো পুনর্গঠন করতে হবে। আমাদের দেশে আয়কর আদায় খুবই দুর্বল। এক্ষেত্রে ৩ জায়গায় নজর দিতে হবে। এগুলোর মধ্যে রাজস্ব খাতে লিকেজ কমাতে হবে। ভ্যাট ১৫ শতাংশের বেশি বাড়ানোর দরকার নেই। এটিই অনেক বেশি। কিন্তু এক্ষেত্রে আদায়ের দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ২০১২ সালের কর আইন কার্যকর করতে হবে।  ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের কারণে ভ্যাট রাজস্ব বৃদ্ধি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবারের আয় ও ভোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভ্যাট সংস্কার এখনও প্রয়োজন। কিন্তু কর বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত আয়করের ওপর আরও বেশি জোর দিতে হবে। এই বিশ্লেষণটি পিআরআই পরিচালিত মূল অর্থনৈতিক মডেলিংয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে বৃহত্তর অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের করের রাজস্ব বৃদ্ধির প্রভাব অনুকরণ করা হয়।  আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপির শতাংশের হিসাবে বিশ্বের সর্বনিম্ন স্তরের কর রাজস্ব রয়েছে। এটি স্বল্প মেয়াদে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা এবং বাংলাদেশের হিসাবে মধ্য মেয়াদে উন্নয়নের দিকে ইতিবাচক ট্র্যাক বজায় রাখার উভয় ক্ষেত্রেই দেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে চায়। তবে জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশের কর রাজস্ব বর্তমানে ভিয়েতনামের মতো একই মানের দেশের তুলনায় অর্ধেক। এজন্য ব্যক্তিগত আয়কর থেকে রাজস্ব বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে।  আরও বলা হয়েছে, কর বাড়াতে নীতিনির্ধারকদের বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিগত আয়কর থেকে উল্লে­খযোগ্য পরিমাণে উচ্চ রাজস্ব আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশব্যাপী টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বাড়াতে হবে। বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রগুলোর বাইরে কর নেট সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এছাড়া বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন জমা এবং একটি সমন্বিত কেন্দ্রীয় স্বয়ংক্রিয় করা প্রশাসন ডাটাবেজ স্থাপন করতে হবে। করপোরেট আয়করের অদক্ষতা কমাতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান সেক্টরে উচ্চহারে করছাড় এবং কর অবকাশ কমিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি সব নিবন্ধিত কোম্পানির জন্য বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের উদ্যোগ থাকতে হবে। ভ্যাট নীতি সহজ করতে হবে। এক্ষেত্রে ২০১২ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।  ব্রিফিংয়ে ড. জাইদী সাত্তার বলেন, এ দেশের বাজেট ঘাটতি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সমান। উন্নয়নশীল দেশে বাজেট ঘাটতি থাকাটা খারাপ নয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ঋণ করে কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আয়বৈষম্য বেড়ে গেছে। সেটি কমাতে হলেও কর ব্যবস্থার আমূল সংস্কার দরকার। কোনো সংস্কার ছাড়া জিডিপির অনুপাতে ২ শতাংশ কর বাড়াতে বলা হচ্ছে না। এটি করলে আরও খারাপ হতে পারে। এছাড়া ট্রেড ট্যাক্স ২৬ থেকে ২৮ শতাংশ থাকাটা ঠিক নয়। রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হলে অবশ্যই শুল্ক ছাড়ের মাধ্যমে বা অতি শুল্ক আরোপ করে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা উদ্যোক্তারা যখন দেখবেন তাদের পণ্য দেশের বাজারে বিক্রি করলে যে লাভ হচ্ছে রপ্তানি করলে তার চেয়ে কম হয়; তাহলে তারা রপ্তানিতে অনুৎসাহিত হবেন।  ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্রিটিশ আমলের কর প্রশাসন দিয়ে রাজস্ব খাত চলবে না। তাহলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন হবে না। রাজস্ব আয় বাড়াতে কর প্রশাসনের কার্যকর সংস্কারের বিকল্প নেই। নতুন সরকারের জন্য এটাই ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত সময়। কেননা দুই বছর গেলে তখন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সংক্রান্ত অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়। তিনি আরও বলেন, প্রবাসী আয়ের ওপর কর বসানো ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে করারোপ বা প্রণোদনা কোনোটির পক্ষেই আমরা নই।  ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মানুষের হাতে ৩০ শতাংশ জাতীয় আয়। তাদের কাছে ১৫ শতাংশ হারে কর আদায় করা হলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় বাড়ানো যায়। ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসির বাস্তবায়ন করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতসহ সামষ্টিক সরকারি ব্যয় বাড়াতে হলে কর বাড়াতে হবে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বৈষম্য আরও গভীর হতে পারে। সরকারের আমদানি সংকোচন নীতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসা উচিত। বর্তমানে ঋণ করে বাজেট ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। এতে বড় অঙ্কের সুদ পরিশোধ করতে হয়। ফলে ১২-১৩ শতাংশ হারে সুদ দিতে বাজেটের একাটি বড় অংশ চলে যায়। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ ও ব্যবহার বাড়াতে হবে।
কর জিডিপির অনুপাত ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো গেলে বর্তমান যে রাজস্ব আদায় হচ্ছে এর তুলনায় অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। বিদ্যমান কর হার না বাড়িয়েও এ পরিমাণ অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করা যাবে। এটি হলে কর জিডিপির অনুপাত ১০ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হবে। ফলে আইএমএফের শর্তও পূরণ করা যাবে। এক্ষেত্রে বর্তমান রাজস্ব প্রশাসন বা কর ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভব হবে না।
নিটল মোটরসের ৩৬৫ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি
এক বছরে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের প্রতিষ্ঠান নিটল মোটরস প্রায় ৩৬৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। গাড়ি বিক্রয়, যানবাহন পরিচালনায় আয়, কেনাকাটা ও স্থান-স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অডিট রিপোর্ট, দাখিলপত্র নিরীক্ষা করে এই ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে যশোর ভ্যাট কমিশনারেট।  সূত্র জানায়, দুই দফা নিটল মোটরসের দলিলাদি নিরীক্ষা করা হয়। নিরীক্ষায় চার ধরনের অনিয়ম পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে- ক্রয় ও বিক্রয়ের রেজিস্টার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা, স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত উপকরণ ক্রয় রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ ছাড়া সরবরাহ করা, উৎসে মূসক যথাযথভাবে কর্তন না করা, পণ্য ও সেবা সরবরাহের বিপরীতে যথাযথ মূসক পরিশোধ না করা। প্রথম দফা নিরীক্ষায় ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সুদ ছাড়া ৩৬৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটিত হয়। দাবিনামা জারি করা হলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা পুনঃতদন্তের অনুরোধ জানান। এর প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি ৩৬৫ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়।  নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নিটল মোটরস ভারতের টাটা মোটরসের কাছ থেকে বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ প্রভৃতি সিকেডি অবস্থায় আমদানি করে তা সিবিইউতে রূপান্তর করে। যশোরে ভারতের টাটা মোটরসের নীতা কোম্পানি এবং নিটল মোটরসের জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি বিক্রয় চালানের (মূসক-১১) মাধ্যমে সেই গাড়ি নিটল মোটরসের কাছে বিক্রয় করে।  দলিলাদি যাচাই করে দেখা গেছে, নীতা কোম্পানির সংযোজিত সব গাড়ি নিটল মোটরসের কাছে বিক্রয় করেছে। তবে নীতা কোম্পানির একই মেয়াদের বিক্রয় তথ্যের সঙ্গে নিটল মোটরসের ক্রয় হিসাবের মিল পাওয়া যায়নি। কারণ নীতা মোটরস কিছু পণ্য নিটল মোটরসের কাছে বিক্রি করেছে, বাকি পণ্যগুলো ব্যাংকের নামে বিক্রি দেখানো।  ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিটল মোটরস নীতা কোম্পানি থেকে চার হাজার ৫৫৩ ইউনিট গাড়ি আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৩৫৪ ইউনিট গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় রেজিস্টারে এন্ট্রি করে ভ্যাট পরিশোধ করেছে। কিন্তু চার হাজার ১৯৯ ইউনিট গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় রেজিস্টারে এন্ট্রি করা হয়নি, ভ্যাটও পরিশোধ করা হয়নি। এসব গাড়ির মূসক আরোপযোগ্য মূল্য ৫৫৪ কোটি টাকা, যার বিপরীতে ৮৩ কোটি টাকা প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানের দাবি, চার হাজার ১৯৯ ইউনিট গাড়ি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহণ সেবামূলক ব্যবসায় ব্যবহারের উদ্দেশ্যে স্থায়ী সম্পদে রূপান্তর করা হয়েছে। নীতা কোম্পানি থেকে ক্রয় করার পর তা বিআরটিএ থেকে নিটল মোটরসের নামে নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। বাইরের ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়নি। ফলে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না। তবে তদন্ত কমিটি মত দিয়েছে, ভ্যাট ফাঁকি দিতেই নিটল মোটরস এসব গাড়ি ব্যাংকের নামে ক্রয় করেছে। পরে তা ভোক্তার কাছে কিস্তির মাধ্যমে বিক্রয় করেছে। ফলে এর ওপর ভ্যাট দিতে হবে। তবে প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব গাড়ির নিজস্ব পরিবহণ পরিচালনা ও মালিকানার তথ্য চাওয়া হলেও তা সরবরাহ করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন যাচাই করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানের ‘ইনকাম ফ্রম অপারেটিং ভেহিক্যাল’ বা যানবাহন পরিচালনায় আয় হয়েছে এক হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। ১৫ শতাংশ হারে এ খাতে ২৭৮ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধের কথা ছিল। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কেনাকাটার ওপর ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং স্থান ও স্থাপনা ভাড়ায় ৫২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকির দায়ে দাবিনামা জারি করেছে যশোর ভ্যাট কমিশনারেট।  এ বিষয়ে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ যুগান্তরকে বলেন, নিটল মোটরস শতভাগ কমপ্লায়েন্ট প্রতিষ্ঠান। অযৌক্তিকভাবে ভ্যাট বিভাগ দাবিনামা জারি করেছে। কারণ প্রতিবছর ওরাই (ভ্যাট বিভাগ) আমাদের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিত। এখন তারাই ভ্যাট দাবি করছে কীভাবে সেটা বোধগম্য নয়। এই দাবিনামার বিপরীতে আপিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই আপিল করা হবে।
এক বছরে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের প্রতিষ্ঠান নিটল মোটরস প্রায় ৩৬৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। গাড়ি বিক্রয়, যানবাহন পরিচালনায় আয়, কেনাকাটা ও স্থান-স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে নিয়মিত ভ্যাট পরিশোধ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অডিট রিপোর্ট, দাখিলপত্র নিরীক্ষা করে এই ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে যশোর ভ্যাট কমিশনারেট।
‘স্টাইলিশ আইকনিক বিজনেস পারসোনালিটি’ বর্ষসেরা তানিয়া তাছলিমা
বাংলাদেশ উইমেন্স ইন্সপিরেশনাল অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরা স্টাইলিশ আইকনিক বিজনেস পারসোনালিটি এর সেরা পুরস্কার জিতেছেন আরিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানিয়া তাছলিমা। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে রোববার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ নারী উদ্যোক্তার হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ নিয়ে ৪ বছর ধরে বিশেষ   নারীদেরকে পুরস্কার দিয়েছে মিরর ম্যাগাজিন। মোট ৪৫ জন নারীকে বিভিন্ন কেটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।  অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এমপি, সাংবাদিক মুন্নী সাহা, চিত্রনায়িকা নিপুণসহ  বিনোদন জগতের অনেক তারকা।
বাংলাদেশ উইমেন্স ইন্সপিরেশনাল অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরা স্টাইলিশ আইকনিক বিজনেস পারসোনালিটি এর সেরা পুরস্কার জিতেছেন আরিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানিয়া তাছলিমা।
ঢাকায় ইও’র মাল্টি চ্যাপ্টার ইভেন্ট
তরুণ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক সংগঠন এন্ট্রেপ্রেনারস অর্গানাইজেশনের (ইও) দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সদস্যদের অংশগ্রহণে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মাল্টি-চ্যাপ্টার ইভেন্ট।  সংগঠনটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টার ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি দুদিনব্যাপী এ ইভেন্টের আয়োজন করে, যেখানে ভারত, শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশের তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা অংশ নেন।  দুদিনের কর্মসূচি আয়োজেনে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইও বাংলাদেশের সভাপতি মো. জিয়া উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন ইও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) ফাতিন হক, ভারতের জয়পুর ইও চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ তোতুকা, জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, সম্ভব হেলথ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজরা সেলিম, অ্যারিস্টো ফার্মা লিমিটেডের পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান, র‌্যাংগস মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানা রউফ চৌধুরী, ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালক শাহ্ রাইদ চৌধুরী, সাটোরি লিমিটেডের সিইও শাওন তানভীর।
তরুণ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক সংগঠন এন্ট্রেপ্রেনারস অর্গানাইজেশনের (ইও) দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সদস্যদের অংশগ্রহণে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মাল্টি-চ্যাপ্টার ইভেন্ট।
সেরা নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাসিনা আনছার
ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে ২০২৩-এ সেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছার। ইন্টারন্যাশনাল শেফস ডে উপলক্ষ্যে শুক্রবার হাসিনা আনছারকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। হাসিনা আনছার একজন কুকিং এসেসর ও নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী এবং ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি’-এর সম্পাদক।  গুলশান রিও লাউঞ্জে ‘ইউনিটি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেফ ইউনিটি বাংলাদেশের উপদেষ্টা শেফ নুর এ আলম শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেফ ফরহাদ মাহমুদ, শেফ জুয়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনটির সভাপতি শেফ আহসান হাবীব। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশসেরা ২৫ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে ২০২৩-এ সেরা নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছার।
বনানীতে হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা
রাজধানীর বনানীতে চাঁদনী স্টুডিওতে ‘মেলা বিফোর সেপ্টেম্বর এন্ডস’ নামে একটি হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলে। মেলার আয়োজন করে ‘চাঁদনী স্টুডিও’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান।  যার প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি ও শিল্পী নকশাকার পাপিয়া সারওয়ার দিঠি এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্থপতি, বংশীবাদক ও ক্যালিগ্রাফার নাজেম আনোয়ার।  স্থপতি পাপিয়া সারওয়ার নিজেও একজন উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, কাজের সূত্রে আরও অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়; যারা  অনেক রুচিশীল, অনুপম, বিরল পণ্য তৈরি করেন। এই সৃজনশীল মানুষগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্ম করে দেওয়ার উদ্দেশে তাদের এই আয়োজন।  টানা দুদিন চলা এই মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফারজানা আহমেদ উর্মির ‘কাঁচপোকা’, নাজনীন শিবার ‘Xyris by শিবা’ তারান্নুম নিবিড়ের ‘উড়ুক্কু’, লায়লা আহমেদের ‘মায়াবী বনসাই’, পাপিয়া সারওয়ার দিঠির ‘বানাই’, নাজেম আনোয়ারের ‘নাজেম আনোয়ার ক্যালিগ্রাফি’, মোহাম্মদ শাহাদাতের ‘ফুটপাত’, চিত্রশিল্পী শামা শাইওম-রুহানি-জিহানের ‘অয়ময়’, সৈকতের ‘ইন্টারনাল হাব’, তন্ময়ের ‘সতত’, তামিমের ‘রেইন-সে-আর্য’, ফেরদৌস স্বপ্নিলের ‘পরিভ্রমণ’, হিবা শারাফুদ্দিনের ‘Surreal Forest’, এলমা-বাঁধন-শশীর ‘চিত্রলিপি’, নাবিলা তাবাস্সুমের ‘গোড়া’, হাফসা কেয়ার ‘চারু-অলংকার’, শিমলা হকের ‘হোল্লা’ এবং নওশীনের ‘মুনলাইট’। এ ছাড়া মেলায় খাবারের আয়োজনও ছিল। খন্দকার দিল আফরোজের ‘খোনদাস কিচেন’ এবং আসিফের ‘গ্রাম-চা’ এবং জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টির ‘বোন-সিস্টার, জুস কর্নার’। মেলায় শিল্পী, ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী, বিদেশি পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
রাজধানীর বনানীতে চাঁদনী স্টুডিওতে ‘মেলা বিফোর সেপ্টেম্বর এন্ডস’ নামে একটি হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মেলা চলে।
শিল্পোদ্যোক্তারা কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না
চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ কম। ফলে কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না শিল্পোদ্যোক্তারা। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিলেন। একই সময়ে শিল্প খাতে খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ৬০ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। সে হিসাবে শিল্প খাতে ৩ মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ২৭৫১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে দেশের সাধারণ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন। এছাড়া ব্যাপক দুর্নীতির কারণে ব্যাংক খাতের ওপর অনাস্থা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ টাকা তুলে হাতে রাখছেন। এর বাইরে ডলার বিক্রির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকেছে। সার্বিক কারণে ব্যাংক খাতে আমানতে টান পড়েছে। অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটে আছে। দৈনিক ভিত্তিতে ধার করে চলছে কয়েকটি ব্যাংক। ফলে শিল্পোদ্যোক্তারা কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না। এটা শিল্পের জন্য অশনি সংকেত। এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণও খেলাপি হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি কয়েকটি প্রভাবশালী গ্রুপ ইডিএফ ঋণে খেলাপি হওয়ায় একটি সরকারি ব্যাংকের ইডিএফ তহবিল বাতিল করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ভালো উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা সময়মতো ইডিএফ থেকে ঋণ পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শিল্প খাতের ঋণ আদায় হ্রাস পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এই ৩ মাসে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার ঋণ আদায় হয়েছে, যা আগের ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। ঋণ আদায় কমে যাওয়ায় কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা ঋণ ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এ খাতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে শিল্পে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৮১৩ কোটি। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে শিল্প খাতের বিতরণ করা মোট ঋণের মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার ৩ কোটি টাকা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ঋণ আদায় কম হওয়ায় শিল্প ঋণের মোট বকেয়া স্থিতি ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিল্প খাতে ঋণ বিতরণে যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে খেলাপি ঋণ কমছে না, ক্ষেত্র বিশেষ বাড়ছে। ঘুরেফিরে ঋণ পাচ্ছে অসাধু প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ব্যাংকের টাকা ফেরত দেন না। আবার কেউ কেউ নামে-বেনামে ব্যাংক থেকে টাকা বের করে বিদেশে পাচার করছেন। সাধারণত এসব টাকা আর ফেরত আসে না। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, শিল্পে ঋণ না পেলে কর্মসংস্থান হবে না। উৎপাদন থেমে যাবে। আমদানি নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। আর ঋণ দেবেও বা কিভাবে। কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। দুর্নীতির কারণে অনাস্থাও আছে। ডলার সংকট, অর্থ পাচার, হুন্ডি, সবই চলমান। কিছুই থামছে না। সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতের অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। সব কিছু কেমন যেন স্থবির হয়ে আসছে।
চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ কম। ফলে কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাচ্ছেন না শিল্পোদ্যোক্তারা। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিলেন। একই সময়ে শিল্প খাতে খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। যা ৩ মাস আগে ছিল ৬০ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। সে হিসাবে শিল্প খাতে ৩ মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ২৭৫১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক কমার নেপথ্যে
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে জাল-জালিয়াতির নেতিবাচক প্রভাব এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সব শ্রেণির গ্রাহক সংখ্যা কমে যাচ্ছে। গত এক বছরের ব্যবধানে আমানতধারীর হিসাব কমেছে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। একই সময়ে ঋণ বা বিনিয়োগ হিসাব কমেছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে আলোচ্য সময়ে আমানত ও ঋণের স্থিতি কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১৫ সাল থেকে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালকরাই নিয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। এতে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সংকটে পড়ে। তারা আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছিল না। ফলে আমানতকারীরা বিক্ষোভ মিছিল-মিটিং করেন। এর প্রভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কমতে ছিল। তবে এখন আমানত বাড়তে শুরু করেছে। তবে গ্রাহক সংখ্যা জালিয়াতির পর থেকেই কমতে ছিল। কমার সংখ্যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে আমানত হিসাব। আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রাহকরা অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। যে কারণে আমানতের গ্রাহক বেশি কমেছে। ঋণ বা বিনিয়োগের গ্রাহক তুলনামূলক কম কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোট আমানত হিসাব ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার। গত বছরের ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজারে। গত এক বছরের ব্যবধানে আমানতের হিসাব কমেছে ৯১ হাজার বা ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে ব্যক্তি আমানতের হিসাব। তবে বড়েছে উদ্যোক্তা আমানতের হিসাব। তারা একই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার বিপরীতে আমানত রাখে বলে এ হিসাব বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঋণ বা বিনিয়োগ হিসাব ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৩৯২টি। গত বছরের ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭০৫টিতে। এক বছরের ব্যবধানে ঋণ হিসাব কমেছে ৫ হাজার ৬৮৭টি বা ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। সূত্র জানায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহক কমে যাওয়ার কারণে সংকট বাড়ছে। আমানত আগে কমছিল। এখন বাড়তে শুরু করেছে। তবে বৃদ্ধির হার খুবই কম। একই সঙ্গে নতুন ঋণ বিতরণ খুবই কম। আগের সুদ যোগ হয়ে ঋণ বেড়েছে খুবই সামান্য। প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানত ছিল ৪৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এক বছরে আমানত বেড়েছে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বৃদ্ধির হার দশমিক ২৪ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিনিয়োগ ছিল ৭০ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ঋণ বেড়েছে ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা বৃদ্ধির হার দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগে আমানত ও ঋণ দুটোই আরও অনেক বেশি হারে বাড়ত। কোনো বছর তা ডাবল ডিজিটের উপরে থাকত। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে বেসরকারি খাতের আমানত বাড়লেও সরকারি খাতের আমানত কমেছে। বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত জমা না রাখায় সরকারি আমানত কমেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকারি আমানত ছিল ৪৯ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি টাকায়। আলোচ্য সময়ে আমানত কমেছে ৭ কোটি টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট আমানতের সাড়ে ৯২ শতাংশই ঢাকাকেন্দ্রিক। চট্টগ্রামকেন্দ্রিক মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ। বাকি ৩ শতাংশ অন্যান্য অঞ্চলে।
নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে জাল-জালিয়াতির নেতিবাচক প্রভাব এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সব শ্রেণির গ্রাহক সংখ্যা কমে যাচ্ছে। গত এক বছরের ব্যবধানে আমানতধারীর হিসাব কমেছে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। একই সময়ে ঋণ বা বিনিয়োগ হিসাব কমেছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে আলোচ্য সময়ে আমানত ও ঋণের স্থিতি কিছুটা বেড়েছে।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ কিনে নিল তুরস্কের আইসেক
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড (সিসিবিবি) অধিগ্রহণের জন্য চুক্তি সই করেছে তুরস্কের কোকা-কোলা ইসেক (সিসিআই)। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে উপস্থিতি জোরদার করতে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ১৩ কোটি ডলারে সিসিবিবি কিনে নিল সিসিআই। সম্প্রতি সিসিআই-এর সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক সংস্থা সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি (সিসিআইএইচবিভি) এবং কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) একটি সহায়ক সংস্থার মধ্যে শেয়ার ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) সম্পাদন হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সিসিআই ১৩ কোটি ডলারের এন্টারপ্রাইজ মূল্যে, সিসিবিবির আনুমানিক নিট আর্থিক ঋণে বিয়োগ করবে। এর মাধ্যমে নির্ধারিত ইক্যুইটি ভ্যালুতে (ইক্যুইটি ভ্যালু) সিসিবিবির সম্পূর্ণ শেয়ার হোল্ডিং অর্জন করবে সিসিআই। এ বিষয়ে সিসিআই এর সিইও করিম ইয়াহি বলেন, ‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয় চুক্তি সই করতে পেরে আনন্দিত। এটাকে আমরা বাজারে প্রবেশের একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি।’ সিসিআইয়ের মতে, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিসিআই ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। দেশগুলো হলো- আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড (সিসিবিবি) অধিগ্রহণের জন্য চুক্তি সই করেছে তুরস্কের কোকা-কোলা ইসেক (সিসিআই)। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে উপস্থিতি জোরদার করতে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ১৩ কোটি ডলারে সিসিবিবি কিনে নিল সিসিআই।
কোকা-কোলায় প্রথম বাংলাদেশি এমডি হলেন জু-উন নাহার
শীর্ষস্থানীয় পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হয়েছেন এক নারী। তার নাম জু-উন নাহার চৌধুরী। তিনি প্রথম বাংলাদেশি ও প্রথম নারী হিসেবে কোম্পানিটির এমডির দায়িত্ব পেলেন।  সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোকা-কোলা বাংলাদেশ এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জু-উন নাহার চৌধুরী বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশের বিপণন বিভাগের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পদে তিনি কাজ করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশব্যাপী ‘লাইফবয় হাত ধোয়া প্রচারণা’ আয়োজন করা হয়; যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পায়। ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ায় রেকিট বেনকিজারে জু-উন নাহার চৌধুরীর কর্মজীবন শুরু হয়। সেখানে তিনি ডেটলের ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।  পরে ডানোন ইন্দোনেশিয়ার হেড অব ইনোভেশন হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি একমার্সের এফএমসিজি পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালে দেশে ফিরে তিনি অ্যাপেক্সের বিপণন পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সেখান থেকে সর্বশেষ কোকা-কোলা বাংলাদেশের এমডি হলেন। এ বিষয়ে জু-উন নাহার চৌধুরী বলেন, কোকা-কোলা বাংলাদেশে যোগ দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। কোকা-কোলার এই যাত্রায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য সম্মানের বিষয়। আমাদের ব্র্যান্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজি অপারেশনকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব বলে আমি আশাবাদী। কোকা-কোলায় জু-উনকে স্বাগত জানিয়েছেন কোম্পানির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া (এসডব্লিউএ) অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় বিজয় বাতিজা।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজারে টেকসই ব্যবসা গড়ে তোলা কোকা-কোলার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এই কোম্পানির যাত্রার একটি চমৎকার সময়ে জু-উন আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এফএমসিজি ও ই-কমার্স খাতে তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের অংশীদারেরা অনেক উপকৃত হবেন।
শীর্ষস্থানীয় পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা বাংলাদেশের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হয়েছেন এক নারী। তার নাম জু-উন নাহার চৌধুরী। তিনি প্রথম বাংলাদেশি ও প্রথম নারী হিসেবে কোম্পানিটির এমডির দায়িত্ব পেলেন।
অর্থ পাচার করলেই নিবন্ধন বাতিল
বিদেশে অর্থ পাচার ঠেকাতে দেশের আমদানি, রপ্তানি ও ইন্ডেন্ট প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। ইন্ডেন্ট প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের একক ডিলার বা এজেন্টশিপ। এসব প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক (আমদানি-রপ্তানি) বাণিজ্যের অন্তরালে অর্থ পাচারের ঘটনা পাওয়া গেলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়া পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানির নামে আন্ডার বা ওভার ইনভয়েসিং করলেও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল হবে। এছাড়া এখন থেকে নিবন্ধন ছাড়া দেশের ভেতর কোনো আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং ইন্ডেন্টের প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে না। সম্প্রতি এসব কঠোর বিধান রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। প্রসঙ্গত, আমদানি-রপ্তানির অন্তরালে বিদেশে টাকা পাচার প্রসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্র্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে উল্লেখ করেছিলেন, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। তিনি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ উল্লেখ করেন যে, ১ লাখ ডলারের মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি মাত্র ২০ হাজার ডলারে আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে। আবার আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েস হয়েছে’ বিষয়টি গোচরীভূত হওয়ার পর এ ধরনের ১০০টি ঋণপত্র পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) রিপোর্টে (২০২০ সাল) বলা হয়, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। টাকার অঙ্কে তা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত পরিদপ্তর জানিয়েছে, আমদানি রপ্তানির অন্তরালে দেশ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সব মিলিয়ে পাচার করা অর্থের পরিমাণ ৮২১ কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এভাবে বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, নিবন্ধন গ্রহণ ছাড়া কোনো আমদানিকারক, রপ্তানিকারক বা ইন্ডেন্টর বাংলাদেশে পণ্য বা সেবা আমদানি বা দেশ থেকে পণ্য বা সেবা রপ্তানি করতে পারবে না। ক্ষেত্রবিশেষ ইন্ডেন্ট করতে পারবে না। সেখানে আরও বলা হয়, নিবন্ধন নেওয়ার পর আমদানি, রপ্তানি বা বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কিত যে কোনো বিধানসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘন হলে এই আদেশের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। এছাড়া আমদানি বা রপ্তানিকৃত পণ্য বা সেবার মূল্যে আন্ডার ইনভয়েসিং বা ওভার ইনভয়েসিং করা হলে সেক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এছাড়া প্রতারণামূলকভাবে নিবন্ধন সনদ অর্জন বা অর্জনের চেষ্টা এবং আমদানি ও রপ্তানিকৃত পণ্য বা সেবার সরবরাহ, মজুত, গুণগত মান অথবা মূল্য সম্পর্কিত কোনো আইন অমান্য করলে, ইন্ডেন্ট সম্পর্কিত কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলেও নিবন্ধন বাতিল করা হবে। নজরদারির আওতায় আনতে আদেশে আরও বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠান ঘোষণার সময় যে ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। তবে ওই ঠিকানায় যদি আমদানিকারক, রপ্তানিকারক বা ইন্ডেন্টর প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে একই (নিবন্ধন বাতিল) আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানি, রপ্তানি এবং ইন্ডেন্ট সংক্রান্ত কোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না। মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, আদেশটি কার্যকর করা কঠিন। তবে অসম্ভব নয়, যদি গেজেটটি সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করা হয়। আর সেটি করা হলে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিং কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, এই আদেশ বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফইইউ) একটি শক্তিশালী ইউনিট প্রতিষ্ঠা এবং তদন্ত টিম গঠন করতে হবে। ওই টিম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখবে আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে কিনা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে আদেশ জারি করেছে সেটির নাম দেওয়া হয়েছে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং ইন্ডেন্টের (নিবন্ধন) আদেশ-২০২৩। এটি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট (কন্ট্রোল) অ্যাক্ট-১৯৫০ এর সেকশন তিনের সাব-সেকশন একের ক্ষমতাবলে করা হয়। নিবন্ধন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধান আরোপ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির দেশের মধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিক হলে বা দুই বা তার বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা একই পরিবারের সদস্য হলে সেক্ষেত্রে কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নিতে হবে। এছাড়া অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুই বা এর বেশি প্রতিষ্ঠানের অংশীদাররা একই পরিবারের সদস্য বা মালিক একজনই হলে সেক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নিতে হবে। এ আদেশ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিকেএমই’র নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম যুগান্তরকে জানান, সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা অবশ্য থাকতে হবে। এখন পণ্য আমদানি করতে হলে ইম্পোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট থাকতে হয়। এখন নতুন করে এই আদেশের আওতায় আনা হচ্ছে। আমি মনে করি এটি যৌক্তিক। কারণ সরকারের কোনো না কোনো জায়গায় প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন থাকতে হবে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে যে যা খুশি আমদানি বা রপ্তানির নামে টাকা পাচার করবে এটি হতে পারে না। জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৮৯৫ কোটি মার্কিন ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবমতে একই সময়ে দেশ থেকে মোট ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর ওই তথ্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে যে, ওই রপ্তানি মূল্যের বিপরীতে শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলারই দেশে ফেরত আসেনি, যা মোট রপ্তানি মূল্যের ২২ শতাংশ। এই যে আমদানির সময় ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কাগুজে মূল্যকে বেশি করে দেখানো কিংবা রপ্তানি আয়ের একটি বড় অংশ দেশে না আসার মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এই আদেশ জারির আগে ‘ইম্পোর্ট, এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইন্ডেন্টের রেজিস্ট্রেশন অর্ডার-১৯৮১’-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে অনেক দুর্বলতা ছিল। যে কারণে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের অন্তরালে বিদেশে অর্থ পাচার বেড়ে যায়। সেটি বন্ধ করতেই নতুন আদেশ জারি করা হয়েছে এবং ‘ইম্পোর্ট, এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইন্ডেন্টের রেজিস্ট্রেশন অর্ডার-১৯৮১’ রহিত করা হয়েছে।
বিদেশে অর্থ পাচার ঠেকাতে দেশের আমদানি, রপ্তানি ও ইন্ডেন্ট প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। ইন্ডেন্ট প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের একক ডিলার বা এজেন্টশিপ। এসব প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক (আমদানি-রপ্তানি) বাণিজ্যের অন্তরালে অর্থ পাচারের ঘটনা পাওয়া গেলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়া পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানির নামে আন্ডার বা ওভার ইনভয়েসিং করলেও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল হবে। এছাড়া এখন থেকে নিবন্ধন ছাড়া দেশের ভেতর কোনো আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং ইন্ডেন্টের প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে না। সম্প্রতি এসব কঠোর বিধান রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
পাওনাদারদের ‘সুখবর’ দিলেন ইভ্যালির সিইও রাসেল
ইভ্যালির কাছে গ্রাহকদের সবার পাওনাই পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেল।  একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, পুরনো গ্রাহক ও মার্চেন্টদের লেনদেন কিংবা অর্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দুই মাসের মধ্যে ইভ্যালির নতুন অ্যাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে।  শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ইভ্যালির কাছে সাধারণ গ্রাহক এবং মার্চেন্টরা সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকা পাবেন। এর মধ্যে সাধারণ গ্রাহকরা ৩৫০ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টরা পাবেন ১৫০ কোটি টাকা। সবার পাওনাই পরিশোধ করা হবে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কারণে ‘বিগ ব্যাং’ অফারের আওতায় গ্রাহকদের কাছে পণ্য পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। কিন্তু কোনো অর্ডার ফেইল করেনি। অর্থাৎ কেউ পণ্য পায়নি এমন অভিযোগ নেই। ইভ্যালির এ কর্ণধার বলেন, গুণগত মানের কারণে গ্রাহকের কোনো পণ্য পছন্দ না হলে সরাসরি ফেরত নেবে ইভ্যালি। এ ক্ষেত্রে কুরিয়ার চার্জসহ সম্পূর্ণ অর্থ গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হবে। ইভ্যালির নিবন্ধিত কোনো সেলারের পণ্য গুণগত মানে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে তাদের প্ল্যাটফরম থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মো. রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি।
ইভ্যালির কাছে গ্রাহকদের সবার পাওনাই পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেল।
টানা চতুর্থ দফায় সোনার দাম কমল
টানা চতুর্থ দফায় দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমেছে ৬৩০ টাকা। শ‌নিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সোনার নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম কমে হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। যা আগে ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে।এই মানের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা। এ ছাড়া অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা রাখা হয়েছে। এর আগে তিন দফায় সোনার দাম কামানো হয়। এরমধ্যে ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমায় বাজুস। অর্থাৎ টানা চার দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম ক‌মেছে ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা।  তার আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বাড়ানো হয়েছিল। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল ২০৬৫ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল ফের ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।
টানা চতুর্থ দফায় দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমেছে ৬৩০ টাকা।
টানা তৃতীয় দিন সোনার দাম আরও কমল
টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে।  বৃহস্প‌তিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে দুই দফায় সোনার দাম কামানো হয়। এরমধ্যে ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা কমায় বাজুস। অর্থাৎ টানা তিন দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।  তারও আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বাড়ানো হয়েছিল। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বে‌ড়ে‌ছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল ২০৬৫ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল ফের ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়।  আজ (২৫ এপ্রিল) সোনার নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন যার দাম ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।  ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৫৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৫১৪ টাকা। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ৯২ হাজার ৯১৫ টাকা।  এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৪০৮ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৮০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে।
ডলারের দর বাজারভিত্তিক না হওয়ায় উদ্বেগ
ডলারের দর বাজারভিত্তিক না হওয়া ও রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। একই সঙ্গে ঋণের সুদহার পুরোমাত্রায় বাজারভিত্তিক না করার বিষয়েও আইএমএফ আপত্তি জানিয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিম্নমুখী প্রবণতা রোধ করতে না পারার বিয়টিও তারা তুলে ধরেছে। পাশাপাশি আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ছোট করার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলেছে, এসব বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সজাগ হতে হবে। ঢাকা সফররত আইএমএফ মিশন বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে। এদিন তারা অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছে। ওইসব বৈঠকে তারা এসব বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে তারা ঋণের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও বিভিন্ন খাতের সংস্কার বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে। আইএমএফের সঙ্গে ওইসব বৈঠকে উল্লিখিত বিষয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদন বিনিময় এবং সারসংক্ষেপ আলোচনা হয় বলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইএমএফ আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার যথাসম্ভব ছোট করার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। ফলে সরকারকে ঋণ নির্ভরতা বাড়াতে হচ্ছে। এদিকে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট থাকায় সরকারের ঋণের জোগানও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে তারা বলেছে, সরকারি খাতের ঋণের উপকরণে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ঋণের খরচও বেড়েছে। এতে বাড়তি সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে সরকারকে বাড়তি আর্থিক বোঝা নিতে হবে। এতে সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়বে। সূত্র জানায়, আইএমএফ ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের বিপরীতে বিভিন্ন শর্ত ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়েছে। এর মধ্যে গত জুলাইয়ের মধ্যে ডলারের বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা করেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের বাফেদা ও এবিবিকে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু এখন তারা যে দর নির্ধারণ করছে সেটিও কার্যকর হচ্ছে না। এদিকে চলতি মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার জন্য ক্রলিং পেগ পদ্ধতি (একটি সীমা বেঁধে দিয়ে ডলারের দামের ওঠানামা করার সুযোগ) চালুর ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো এটি চালু করেনি। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আপত্তি তুলেছে আইএমএফ। গত অর্থবছরে আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়নি। চলতি অর্থবছরে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেটিও অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ এখনো রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার বেশ নিচে। প্রতিনিধিদলটি মনে করে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন প্রধান সমস্যা দুটি। একটি হলো ডলার ও অপরটি রাজস্ব ঘাটতি। এ দুটিতে শৃঙ্খলা আনতে না পারলে মূল্যস্ফীতির হার কমানো সম্ভব হবে না। ওইসব বৈঠকে ঋণের সুদের হার বাজারভিত্তিক করার বিষয়টিও উঠে আসে। ঋণের সুদহার নির্ধারণের জন্য একটি করিডর ঘোষণা করা হলেও এখনো বাজারভিত্তিক করা হয়নি। এটিকে বাজারভিত্তিক করতে আইএমএফ আবারও জোর দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হলেও এটিও অর্জন করতে পারছে না। এজন্য বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ানো ও রপ্তানি বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি। বৈঠকে ব্যাংক খাতের সংস্কারসহ একীভূতকরণ নীতিমালা এবং বৈদেশিক বাণিজ্যিক লেনদেনসহ সামষ্টিক অর্থনীতির রিভিউ সংক্রান্ত বিষয়াবলির ওপর আলোচনা করেছে। তবে প্রথম দিনের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপকে যথাযথ বলে জানিয়েছেন দাতা সংস্থাটির সদস্যরা। তারা এদিন শুভেচ্ছা বিনিময়সহ মূলত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া কিছু খাতে তারা নিজস্ব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। জানা যায়, আসন্ন বাজেট ও নতুন অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা এবং ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের ঠিক আগমুহূর্তে আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন শুরু করেছে। বুধবার বৈঠক শুরুর মাধ্যমে দলটি এখন পর্যায়ক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইত্যাদি সংস্থার সঙ্গে ৮ মে পর্যন্ত বৈঠক করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, বুধবার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম-৬ হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। এটি অবশ্য প্রকৃত রিজার্ভ নয়। আর প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ বের করতে বিপিএম ম্যানুয়াল থেকে চলতি দায় বাবদ আকু বিল, বৈদেশিক পাওনা, প্রকল্প বকেয়া বিল এবং বিশেষ পরিপূরক মুদ্রার (এসডিআর) বকেয়া হিসাবে ৫ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। সেই হিসাবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আরও কমে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে গড় আমদানি ব্যয় ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার, ৫ দশমিক ২০ বিলিয়ন এবং ৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আইএমএফ’র দল এবার রাজস্বনীতিতে গুরুত্ব দেবে। আর ব্যাংক সংস্কারের নামে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে আপত্তি তুলতে পারে। রিজার্ভ কেন বাড়ছে না সে বিষয়ে আলোচনায় বাড়তি গুরুত্ব পেতে পারে।’ সূত্র জানায়, মার্চেও প্রকৃত রিজার্ভ সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। মার্চ শেষে প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা। কিন্তু আইএমএফের হিসাবে ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের জুনে ২৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নিট রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কার্যক্রমের বিপরীতে আইএমএফ অনেক শর্ত দেয়। বেশ কিছু শর্ত পূরণ করে দুই দফায় দুই কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার তৃতীয় কিস্তির পালা। দুই মাস পর অর্থাৎ জুনে যা পাওয়ার কথা। ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের শর্ত কতখানি পূরণ হলো, তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই কিস্তি ছাড় করা হবে। এদিকে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে রিজার্ভের নিট হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তা পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ গত জুলাইয়ের মধ্যে রিজার্ভের নিট হিসাব প্রকাশ করার কথা ছিল। জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ হারে রাজস্ব আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ চলতি অর্থবছরের বাজেটে নেওয়া হয়েছে। ফলে এটি শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। গত জুলাইয়ের মধ্যেই সুদহার নির্ধারণের একটি করিডোর ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি শতভাগ বাস্তবায়ন হলেও সুদের হার এখনও বাজারভিত্তিক করা হয়নি। ব্যাংক কোম্পানি ও ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন সংসদে উপস্থাপন করে পাশ করার মাধ্যমে ইতোমধ্যে এটি কার্যকর করা হয়েছে। ফলে এটিও শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। আইএমএফের শর্ত মোতাবেক তিন মাস পর পর জিডিপির হিসাব প্রকাশ করা হচ্ছে। ঋণ পুনঃতফশিল ও খেলাপির তথ্য বার্ষিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে শর্তটি শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার কাঠামো এখনও করা হয়নি। যদিও এটি গত ডিসেম্বরের মধ্যে করার শর্ত ছিল। সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে। ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমাতে ও মূলধন বাড়াতে তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ছিল গত জুলাই থেকে। এটি শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি।
ডলারের দর বাজারভিত্তিক না হওয়া ও রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। একই সঙ্গে ঋণের সুদহার পুরোমাত্রায় বাজারভিত্তিক না করার বিষয়েও আইএমএফ আপত্তি জানিয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিম্নমুখী প্রবণতা রোধ করতে না পারার বিয়টিও তারা তুলে ধরেছে। পাশাপাশি আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ছোট করার পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলেছে, এসব বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সজাগ হতে হবে।
সোনার দাম আরও কমল
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমানো হয়েছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।  নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম পড়বে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।  ২১ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ১ হাজার ৯৯৫ টাকা। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা। ১৮ ক্যারেটের সোনার ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ১ হাজার ৭১৪ টাকা। এতে এই মানের এক ভরি সোনা কিনতে লাগবে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বাড়ানো হয়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল ২০৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর এক দিন পর ২১ এপ্রিল ফের ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর টানা দুই দফায় ভরিতে ৩১৩৮ ও ২০৯৯ টাকা কমাল বাজুস।
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিতে ২হাজার ১৩৯ টাকা কমানো হয়েছে।
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ও ঋণের সুদ বৃদ্ধি, ব্যবসা টিকিয়ে রাখা দায়
গ্যাসের মূল্য ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুতের মূল্যও। পাশাপাশি ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় ও অন্যান্য সেবার নামে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এর মধ্যে নতুন করে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ছে। এমন অবস্থায় ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে হলে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ মুনাফা করতে হবে। কিন্তু একমাত্র অবৈধ মাদক ব্যবসা ছাড়া কোনোভাবেই ৪০ শতাংশ মুনাফা সম্ভব নয়।  মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) প্রাক-বাজেট (২০২৪-২৫) আলোচনায় ব্যবসায়ীরা এসব বিষয় তুলে ধরে পরিত্রাণ চায়। ওই বৈঠকে আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাজস্ব সংগ্রহ ও প্রশাসন এই দুভাগে বিভক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সংস্কার করতে হবে।  ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো দ্রুত চালুর তাগিদ দিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন আশ্বাস দেওয়া হলেও সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এখন নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করে বলতে হবে কবে নাগাদ এ সুবিধা চালু হবে। ব্যাংক ঋণের সুদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এটি বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সুদ বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগ কমবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হলে বিরাট সমস্যা দেখা দেবে।  তিনি আরও বলেন, যেভাবে সুদের হার বাড়ছে সেটি যেন ১৮ কিংবা ১৯ শতাংশে না পৌঁছে। তিনি ওই বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, ঢাকা ও চট্টগ্রামে কর আদায় ইউনিট স্থাপন, অগ্রিম আয়কর প্রথা বাতিল, ইনফরমাল খাতকে ফরমাল খাতে এনে কর আদায় বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সেখানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ ১২টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অন্যসব খাতের মধ্যে রয়েছে রাজস্ব খাত সংস্কারের মাধ্যমে আদায় বাড়ানো, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন। এছাড়া মুদ্রা বিনিয়ম হার কাক্সিক্ষত পর্যায়ে রাখা, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ ও নিæআয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিও রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমে প্রয়োজনী অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে। এছাড়া প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখা এবং ফাস্ট ট্র্যাক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদের জোগান দেওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন, জলবায়ু মোকাবিলা থেকে রক্ষায় অর্থের সংস্থান ও রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধানের কাজটি করা হবে। আলোচনায় সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, জিডিপির তুলনায় বাজেট পরিধি আরও বড় হওয়া দরকার। কিন্তু মূল বাধা হচ্ছে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি না পাওয়া। সিস্টেমের অভাবে যোগ্য করদাতার কাছে পৌঁছতে পারছে না এনবিআর। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রাজস্ব ও মুদ্রানীতির সমন্বয়ের মাধ্যমে। কিন্তু এ দুটি নীতি ভিন্ন। এ ধরনের ভিন্ন পলিসি আত্মহত্যার শামিল। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। সামনে ফসল উৎপাদন হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসল সরকারকে সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু সেটিও পারছে না সরকার। তিনি বলেন, শুধু সুদ হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তিনি, বিদেশে পড়ে থাকা রপ্তানি আয় ফেরত আনা, পণ্যের মজুত বাড়ানো, মুদ্রা পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন। ওই আলোচনায় পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউব অব বাংলাদেশের (পিআইআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকের মধ্যে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো যাচ্ছে না, এটি বড় ব্যর্থতা। যে কারণে বাজেটের পরিধি বড় হচ্ছে না, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে তিনটি চ্যালেঞ্জ অর্থনীতিতে রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতায় আনা, মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনা এবং সরকারি ঋণের চাপ কমানো। ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়ে যাওয়ার পেছনে এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, সরকার ট্রেজারি বিল থেকে বেশি মাত্রায় ঋণ করছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ইতোমধ্যে দেড় লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, গত বছর এক লাখ কোটি টাকা প্রিন্ট করে অর্থনীতিকে সামাল দেওয়ার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে। ব্যাংকে তারল্য সংকট বিরাজমান আছে। এই মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি না কমার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর অন্য দেশগুলো সুদের হার শূন্য থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশে নিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ৬/৯ এর মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভিন্ন পলিসি গ্রহণ করায় আজ এ অবস্থা। যদিও সম্প্রতি সুদের হারে কিছুটা পরিবর্তন আসছে। তবে সুদের হার বৃদ্ধি সেটাও কাম্য নয়। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মে ও জুনে টাকা খরচের চাপ বাড়বে। এতে সুদের হার আরও বৃদ্ধি পাবে। ওই আলোচনায় ব্যবসায়ীরা আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে এইচএস কোড জটিলতা নিরসণ, বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ নেওয়া, দক্ষতা উন্নয়ন, আর্থিক খাত সংস্কারের কমিশন গঠন, ডলার সরবরাহ বাড়ানো, বৈদেশিক ঋণ কমিয়ে অভ্যন্তীরণ উৎস সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া, খেলাপি ঋণ কমানোর সুপারিশ করেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন আইসিএমএবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান কাউন্সিল সদস্য আরিফ খান।
গ্যাসের মূল্য ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুতের মূল্যও। পাশাপাশি ভ্যাট-ট্যাক্স আদায় ও অন্যান্য সেবার নামে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করছে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। এর মধ্যে নতুন করে ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ছে। এমন অবস্থায় ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে হলে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ মুনাফা করতে হবে। কিন্তু একমাত্র অবৈধ মাদক ব্যবসা ছাড়া কোনোভাবেই ৪০ শতাংশ মুনাফা সম্ভব নয়।
দুইবারে হবে এবারের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত?
আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি তথা চার দিনব্যাপী ঐক্যবদ্ধভাবে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ এ কথা জানান। চার দিন ইজতেমা বিষয়ে ওই সভাকক্ষে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম দুই দিন ইজতেমা পরিচালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের এবং শেষের দুই দিন ইজতেমা পরিচালনা করবেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। তাহলে আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে বড় একটা প্রশ্ন রয়ে যায় ওই সভায়। সেসময় আখেরি মোনাজাত বিষয়ে দুই গ্রুপের কেউ ছাড় দিতে রাজি হননি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কোনো হস্তক্ষেপও করেননি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে চার দিন ইজতেমার বয়ান শুনে উপস্থিত তাবলিগের মুরব্বিরা আখেরি মোনাজাত পরিচালনাকারী নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক প্রেসব্রিফিং এ ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান,  সরকার আখেরি মোনাজাত করা বা না করার বিষয়ে কিছু বলবে না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চার দিনের ইজতেমায় দুবার আখেরি মোনাজাত হতে পারে। অর্থাৎ মাওলানা জুবায়ের পরিচালনায় প্রথম দুই দিন ইজতেমার শেষে একটি মোনাজাত এবং সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের পরিচালনায় শেষের দুই দিন ইজতেমায় দ্বিতীয় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হতে পারে। আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন তা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে এমনটা হতে পারে বলে জানান তিনি।
আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি তথা চার দিনব্যাপী ঐক্যবদ্ধভাবে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশ
বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত তাবলিগ জামাতের বিদেশি মেহমানদের ভিসার বিষয়টি দ্রুত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ আব্দুল্লাহ। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডেকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিদেশি মেহমানদের যেন ভিসা পেতে সমস্যা না হয় সেদিকে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তাদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসারও ব্যবস্থা থাকবে। অতীতের মতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি তদারকি করবে বলে জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। টঙ্গী ইজতেমার মূল আকর্ষণ ছিল বিদেশি মেহমানদের অংশগ্রহণ। তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের মধ্যে ইজতেমার আয়োজন নিয়ে এত দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দুপক্ষই বিদেশি মেহমানদের দাওয়াত ঠিকমতো পৌঁছাতে পারেননি। বিদেশি মেহমানরাও এ বিষয়ে অনিশ্চিত ছিলেন। মঙ্গলবার চূড়ান্ত বৈঠকে ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি চার দিন ইজতেমা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বিদেশি মেহমানদের ভিসা প্রদানের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অতীতের মতো বিদেশি মেহমানদের ভিসার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। যেহেতু ইজতেমা আয়োজনে দেরি হয়েছে, তাই অন-অ্যারাইভাল ভিসারও ব্যবস্থা থাকবে। বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মেহমানদের অংশগ্রহণ যাতে আগের মতো অব্যাহত থাকে, সরকার সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তাবলিগসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুপক্ষের বিবেদের কারণে বিদেশি মেহমানদের অংশগ্রহণ অনেকটা কম হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে ইজতেমায় যেহেতু দুপক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ থাকবে, সরকারও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে, আশা করা যায় বিদেশি মেহমানরা এখন আসতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবেন।
বিশ্ব ইজতেমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত তাবলিগ জামাতের বিদেশি মেহমানদের ভিসার বিষয়টি দ্রুত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ আব্দুল্লাহ। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডেকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
‘জাহালমের বিষয়টি নজরে আসামাত্রই জামিনের উদ্যোগ নেয়া হয়’
জাহালমের ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসা মাত্রই ২০১৮ সালের মার্চে দুদক থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন ও মামলাগুলো পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম।  মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি চ্যানেল ২৪-এ জাহালমের বিষয়ে রিপোর্ট দেখে আমি আমার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেই তা ডাউনলোড করার জন্য। পরে আমরা দেখলাম, একজন  ভুল ব্যক্তি জাহালম আমাদের মামলায় জেল খাটছে। তাই তার বিরুদ্ধে বিচার চলমান মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে পিপিদের নির্দেশ দেই। একইসঙ্গে মামলাগুলো পুনঃঅনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।  অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাহালম ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেননি। আবু সালেক নামে এক ব্যক্তি আত্মসাৎ করেছে। অনুসন্ধানকালে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জাহালমের উপস্থিতিতে বলেছিল, এই ব্যক্তিই জাহালম। যাকে দুদক আসামি করেছে।  তিনি বলেন, পুনঃঅনুসন্ধানে জাহালম নির্দোষ প্রমাণিত হয়। এ কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে তাকে মুক্তি দিতে এবং তার নাম প্রত্যাহার করে নিতে পর্যায়ক্রমে আদালতে আবেদন করেন।  তিনি বলেন, জাহালমের কারাবাসের ক্ষেত্রে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল করে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে নানা পক্ষের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালতে সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হবে। তিনি জাহালমকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে দুদক কর্মকর্তাদের ভুলের বিষয়টিও স্বীকার করেন। তবে কর্মকর্তারা যেভাবে ভুল করেছেন তার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন সাবেক এই জেলা জজ। দুদক কমিশনার বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসার আগেই জাহালমের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। আর আগেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেন বলেও জানান তিনি।  তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিবেদন দেখে নিজেই পরদিন কমিশনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে দুদকের কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জাহালমের জামিনের বিরোধিতা না করতে দুদকের আইনজীবীদের নির্দেশ দেয়া হয়। কমিশনার আমিনুল বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মে মাসে তার সঙ্গে টেলিফোনে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। জাহালমের পক্ষে জামিনের আবেদন করার জন্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে তিনি অনুরোধ করেছিলেন বলে জানান দুদক কমিশনার। ২০১৮ সালেই জাহালমের নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও কারাগার থেকে তার বের হতে এত সময় লাগা এবং আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিতে দেরির কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবারও অনুসন্ধান করতে সময় লেগেছে। এ ক্ষেত্রে ঠিক যতটা সময় লাগার কথা কমিশনের কর্মকর্তারা ঠিক ততটাই নিয়েছেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা যে ভুল করেছেন সেটা দুদক স্বীকার করে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভুল হয়েছে এটা ঠিক। তবে সেই একই কর্মকর্তারা ভুলটা শুধরেছেন।  এসব কর্মকর্তার সাম্প্রতিক পদোন্নতি প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, পদোন্নতি অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তারা যেমন একটি ভুল করেছেন, তাদের অনেক সাফল্যও আছে। এছাড়া আমাদের পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় অনেক ধাপ আছে। একটি কমিটি কর্মকর্তাদের পরীক্ষা নিয়েছেন, বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন মূল্যায়নসহ নানা প্রক্রিয়া শেষে পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন। এসব কর্মকর্তার ভুলের দায় কমিশনের ওপর কতটা বর্তায় কিংবা এর কারণে কমিশনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার বলেন, এই ঘটনায় কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ তো হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে নয়। এই ঘটনায় জাহালমকে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসিয়েছে কিনা সেটা কমিশনের তদন্ত কমিটি যাচাই-বাছাই করে দেখবে। যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জাহালমের বিষয়ে দুদককে কেউ ভিন্নপথে পরিচালিত করেছে কি না সেটাও তদন্ত কমিটি যাচাই করে দেখা হবে বলে জানান তিনি। কমিটি আগামী ২০ দিনের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দেবে। এদিকে অপরাধী বা দুর্নীতিবাজ না হয়েও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জাহালমের তিন বছর কারাবাসের ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতি নিরূপণে গঠিত কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।  মঙ্গলবার দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিনের সই করা অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।  ২০১২ সালে দুদকের ৩৩টি মামলার মূল আসামি আবু সালেকের পরিবর্তে ভুল ব্যক্তি জাহালমকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করে কারাগারে অন্তরীণ রাখার ঘটনায় তদন্তপূর্বক দায়-দায়িত্ব নিরূপণের জন্য দুদকের পরিচালক (লিগ্যাল) আবুল হাসনাত মো. আব্দুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে সোমবার এক সদস্যের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি করা হয়। এ কমিটিকে সার্বিক দিক খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জাহালমের ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসা মাত্রই ২০১৮ সালের মার্চে দুদক থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন ও মামলাগুলো পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম।
চার সংসদীয় কমিটি গঠন
একাদশ জাতীয় সংসদের আরও চারটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।  এর আগে সোমবার ৫টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়।  মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে সংসদীয় কমিটিগুলোর সভাপতি ও সদস্যদের নাম প্রস্তাব করেন চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আফছারুল আমিনকে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আব্দুল কুদ্দুস, এ কে এম শাহজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আব্দুস সোবহান মিয়া, এম এ মতিন, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরী।  পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সাবের হোসেন চৌধুরীকে।  এই কমিটির সদস্যরা হল- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মোজাম্মেল হোসেন, দীপঙ্কর তালুকদার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, রেজাউল করিম বাবলু।  মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। কমিটির সদস্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক,আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, মঈনুদ্দিন খান বাদল, এ বি তাজুল ইসলাম, এ কে এম রহমতুল্লাহ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পুনরায় সভাপতি হয়েছেন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। কমিটির সদস্যরা হলেন-ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, এম এ লতিফ, মো. মাজহারুল হক প্রধান, রঞ্জিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আসলাম হোসেন, এসএম শাহজাদা।
একাদশ জাতীয় সংসদের আরও চারটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুদকের কাঠগড়ায় সালাউদ্দিন
বির্ভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  দুদকের উপপরিচালক নাসির উদ্দিনের সই করা চিঠিতে এই তথ্য চাওয়া হয়। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান কর্মকর্তা বরাবর তথ্য পাঠাতে চিঠিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বাফুফে সূত্রে দুদক থেকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগও দুদকের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।   সূত্র জানায়, বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন, মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩০ জানুয়ারি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।   দুদকের চিঠির বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের জানান, ‘দুদক কয়েকটি বিষয়ে তাদের কাছে কাগজপত্র চেয়েছে। তাদের চাহিদামতো ডকুমেন্টসগুলো দুদককে সরবরাহ করব।’  কী কী বিষয় খতিয়ে দেখছে দুদক জানতে চাওয়া হলে তার জবাবে সোহাগ বলেন, ‘৭-৮টি বিষয়ে তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চ্যাম্পিয়ন নেপালকে প্রাইজমানি দিতে কেন বিলম্বিত হয়েছিল তা জানতে চেয়েছে।’ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘দুদক জানতে চেয়েছে আমরা সলিডারিটি কাপ না খেলায় এএফসি যে জরিমানা করেছিল সে বিষয়ে। এর পাশাপাশি ফিফার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ব্ল্যাটারের ঢাকা সফরের খরচের হিসাবও চেয়েছে। তখন অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বাফুফের কাছে ১১ ধরনের তথ্য চেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে এএফসি সলিডারিটি কাপ থেকে দল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, কাপে অংশগ্রহণ না করায় এএফসি কর্তৃক ধার্যকৃত জরিমানার ২০ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধের রেকর্ডপত্র।   ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক টুনামেন্ট চ্যাম্পিয়ন নেপালকে প্রাইজমানির ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধের রেকর্ডপত্র। একই বছর অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ  টুর্নামেন্টের প্রচার স্বত্ব বিক্রয়সংক্রান্ত চ্যানেল নাইন এর সঙ্গে বাফুফের সম্পাদিত চুক্তি। চ্যানেল নাইন কর্তৃক বাফুফেকে প্রচার স্বত্বের টাকা পরিশোধের সব রেকর্ডপত্র।  ওই টুনামেন্টের জন্য টেলিকাস্টিং যন্ত্রপাতি ক্রয়ের বিল পরিশোধের কাগজপত্র। এ ছাড়া বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিনের দায়িত্ব পালনকালে বাফুফের ব্যাংক হিসাবগুলোর স্টেটমেন্ট।  চিঠিতে সিলেট বিকেএসপি ক্যাম্পাসে ফুটবল একাডেমির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিল বাবদ দেয়া অর্থপ্রাপ্তি ও অর্থ ব্যয়ের রেকর্ডাত্র, বাফুফের টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর হিসেবে মি. পাওল থমাস স্ম্যালির প্রোফাইল, তার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি  নিয়োগ ও বেতনের রেকর্ডপত্র, ফিফা সভাপতির বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে ব্যয় করা অর্থের সব রেকর্ডপত্র ও ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাফুফের সব বার্ষিক প্রতিবেদন ও বিশেষ অডিট রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।  উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এএফসি সলিডারিটি কাপে অংশ নেয়নি। যে কারণে ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছিল বাফুফে। এছাড়া জাতীয় দলের সাবেক দুই কোচ নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ ও রেনে কোস্টারের পাওনা নিয়ে যে ঝামেলা হয়েছিল সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে দুদক। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপাল। ফাইনালে তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রাইজমানি হিসেবে নেপালের পাওনা ছিল ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২৫ হাজার মার্কিন ডলার দেয়ার পর বাকি অর্থ দিতে বিলম্ব করেছিল বাফুফে। নেপালের প্রাইজমানির অর্থ আমরা পুরোটাই পরিশোধ করেছি। সেই ডকুমেন্টস আমরা খুব তাড়াতাড়ি দুদককে সরবরাহ করব। আসলে দুদকের এটি রুটিন ওয়ার্ক। কেউ অভিযোগ করলে সেটা খতিয়ে দেখতেই পারে তারা- জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।
বির্ভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীকে পাশে চাই: প্রধানমন্ত্রী
সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাহিনীটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান। পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সম্মেলনে তিনি এই নির্দেশ দেন। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছি। যা যা দাবি করেছেন সবই মেনে নিয়েছি। মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনাদেরকে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সব সময় লক্ষ রাখতে হবে, দুর্নীতি একটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর মাদক একটা পরিবার না, একটা দেশকে ধ্বংস করে। এই ধরনের কাজ যেন বাংলাদেশে আর না হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ শান্তি পাবে, নিরাপত্তা পাবে। সেভাবেই আমরা দেশটাকে গড়ে তুলব। এই লক্ষ্য অর্জন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের শান্তি রক্ষায় পুলিশকে জনবান্ধব হয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার নিজের ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি শুধু দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যেতে চাই। বাংলাদেশকে একটা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলাই আমার লক্ষ্য। জাতির পিতারও একই লক্ষ্য ছিল। স্বাধীনতার পর তিনি (বঙ্গবন্ধু) কিন্তু এই কথাই বলে গেছেন যে, এখন আর ঔপনিবেশিক শক্তি না, সেই ব্রিটিশ আমলও না, পাকিস্তান আমলও না। এটা বাংলাদেশ। আর এই দেশের গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে আছে এই পুলিশেরই বাবা, মা, ভাইবোন সব। দেশের মানুষ নিরাপদে, শান্তিতে থাকলে পুলিশ সদস্যদের পরিবারও শান্তিতে থাকবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হলে নিজের পরিবারেরও উন্নতি হবে। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে এই কথাটাই মেনে চলতে হবে। সবাইকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেই পরিবেশ তৈরিতে পুলিশ বাহিনীকেই সবচেয়ে বেশি শ্রম দিতে হয়। এ শ্রমটা আপনারা দক্ষতার সঙ্গে দিয়েছেন। এ কারণে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও আগুন সন্ত্রাসের মতো অনেক ‘চড়াই-উতরাই’ পার হতে হয়েছে। পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সব অবস্থার মোকাবিলা করেছে। এ জন্য পুলিশ বাহিনীকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া পুলিশের বর্তমান জনবল প্রায় সোয়া দুই লাখ থেকে আরও অন্তত ৫০ হাজার বাড়ানোর অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী পুলিশের জনবল বাড়ানোরও ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা লোকবল বৃদ্ধি করেছিলাম। গত ১০ বছরে প্রায় ৮০ হাজার লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থা এবং মানুষ যেন পুলিশের সেবা পায় সেটা বিবেচনা করেই পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়। পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের লক্ষ্যে শিল্পাঞ্চলগুলোর নিরাপত্তার জন্য আরও শিল্প পুলিশ দরকার। মেগা প্রকল্পের নিরাপত্তার জন্যও পুলিশের প্রয়োজন। পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। পুলিশের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আলাদা, আলাদা ইউনিট গড়ে তুলে তাদের প্রশিক্ষণটাও সেভাবে হওয়া উচিত যে, কোথায় কোন মানুষের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে। অশান্ত পরিবেশ এলে কীভাবে সেটা দমন করতে হবে সে প্রশিক্ষণও দরকার। দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনরত অবস্থায় কোথায় কোন ধরনের পুলিশের আচার-আচরণ, ব্যবহার বা কার্যক্রম অথবা তাৎক্ষণিক অ্যাকশনে যেতে হবে, এর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দরকার। মামলার অভিযোগপত্র, সাক্ষ্য ঠিকমতো করাসহ মামলাগুলো যাতে সময়মতো শেষ হয় সেদিকে নজর দিতেও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, এফআইআর  করে ফেলে রাখা হয়েছে। সেগুলোকে চার্জশিট দেয়া, সাক্ষী নিয়ে আসার কাজগুলো অনেক সময় ঠিকমতো করা হয় না। আর  কোর্টে গেলেও সেটা বছরের পর বছর আটকে থাকে। সেখানে আবার আইনজীবী লাগে, অথবা সরকার পক্ষ থেকেও লোক লাগে। এই বিষয়গুলোর জন্য আমার মনে হয়, একটা আলাদা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কীভাবে মামলাগুলো যথাযথভাবে চলবে এবং সময়মতো মামলাগুলো সম্পন্ন হবে, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম, আমরা করতেও পেরেছি। এটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। আপনাদের একটা স্ট্র্যাটেজি থাকতে হবে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। সাইবার অপরাধ দমন আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নিরীহ-সাধারণ মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষার জন্যই আমরা এটা করেছি। পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে বাজেটও বৃদ্ধি করেছি। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বাজেট যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর বাজেটও আমরা বৃদ্ধি করে দিয়েছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন থেকে সরকারের ধারাবাহিকতার দিকটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গঠন করা মানে হলো- আমার কাছে দেশের সেবা করার একটা সুযোগ পাওয়া। সরকারে এসে নিজের ভাগ্য গড়া নয়। দেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে গড়ব, তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি এবং সেভাবেই কাজ করে গেছি। যার ফলাফল দেশের মানুষ পেয়েছে। আজকে তৃণমূল পর্যায়ে যাতে মানুষের ভাগ্য উন্নত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বারবার অনেক বাধা এসেছে। অনেক সমস্যা এসেছে। সেগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস, মিশনগুলোতে পুলিশের পদায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করার পর আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে যে সম্মান পেয়েছিলাম, সেই সস্মান নস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর। কাজেই আমার চেষ্টাই ছিল, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি, এ যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীকে পাশে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করব, আর ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। এ জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া,পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) (হাইওয়ে) আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম, ঢাকা তেজগাঁও  জোনের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার এবং রাজবাড়ী পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি প্রমুখ।
সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাহিনীটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
প্রথমবারের মতো সংসদে মাশরাফি
প্রথমবারের মতো সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা। একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি শুরু হলেও মঙ্গলবার সংসদে যোগ দিলেন তিনি। আজ বিপিএলের কোনো ম্যাচ না থাকায় সে সুযোগটা কাজে লাগান মাশরাফি। বিপিএল খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এতদিন তিনি সংসদে যোগ দিতে পারেননি। মাশরাফিকে ক্রিকেটের জন্য এখনো দলের প্রয়োজন। এ জন্য তাকে খেলাতেই বেশি মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে।  এর আগে মাশরাফি বলেছিলেন, নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে যেতে চান সংসদ অধিবেশনে।
প্রথমবারের মতো সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিতএমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাত করবেন কে?
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা আরও একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তিন দিনের পরিবর্তে চার দিন অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। তিনি বলেন, আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি ঐক্যবদ্ধভাবে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। আসন্ন ইজতেমা আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তাবলিগের বিবাদমান দু’পক্ষের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ফের বৈঠকে বসেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।  বৈঠকে সাদপন্থীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সাদবিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্ব দেন।  শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, প্রথম দুই দিন ইজতেমা পরিচালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের এবং শেষের দুই দিন ইজতেমা পরিচালনা করবেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন এটা নিয়ে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চায় না । আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন, সেটা নির্ধারণ করবেন তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিরা।  জানা গেছে, দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পূর্বঘোষিত তিন দিনের ইজতেমা চার দিন করা হয়। কিন্তু আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন, সে বিষয়ে কেউ ছাড় দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে সরকারও কোনো হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপর সিদ্ধান্ত হয় ইজতেমার প্রথম দু’দিন নেতৃত্ব দেবেন সা’দ বিরোধী পক্ষের নেতা মাওলানা জুবায়ের এবং শেষ দুদিনের নেতৃত্ব দিবেন সাদপন্থী সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম।  সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে চার দিন ইজতেমার বয়ান শুনে উপস্থিত তাবলিগের মুরব্বিরা আখেরি মোনাজাত পরিচালনাকারী নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত তাবলিগের দু’পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত করেন। এদিন মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর দুই পর্বে ভাগ করে দেশের ৬৪ জেলার মানুষের জন্য ইজতেমার ব্যবস্থা করা হলেও এবার এক পর্বেই এ সম্মিলনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা আরও একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তিন দিনের পরিবর্তে চার দিন অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা।
দু’পক্ষকে খুশি করতেই ইজতেমা চার দিন
তাবলিগের বিবদমান দু’পক্ষ দুদিন করে চার দিন ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে। প্রথম দুদিন ইজতেমার নেতৃত্ব দেবেন মাওলানা জুবায়ের এবং শেষ দুদিনের নেতৃত্ব দেবেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম।  বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসন্ন ইজতেমা আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তাবলিগের বিবদমান দু’পক্ষের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ফের বৈঠকে বসেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।  মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাদপন্থীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সাদবিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্ব দেন।  জানা গেছে, দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পূর্বঘোষিত তিন দিনের ইজতেমা চারদিন করা হয়। কিন্তু আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন সে বিষয়ে কেউ ছাড় দিতে রাজি হননি। এ বিষয়ে সরকারও কোন হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপর সিদ্ধান্ত হয়  ইজতেমার প্রথম দু’দিন নেতৃত্ব দেবেন সা’দ বিরোধী পক্ষের নেতা মাওলানা জুবায়ের এবং শেষ দু’দিনের নেতৃত্ব দেবেন সাদপন্থী সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম।  সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে চার দিন ইজতেমার বয়ান শুনে উপস্থিত তাবলিগের মুরব্বিরা আখেরি মোনাজাত পরিচালনাকারী নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত তাবলিগের দু’পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত করেন। এদিন মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর দুই পর্বে ভাগ করে দেশের ৬৪ জেলার মানুষের জন্য ইজতেমার ব্যবস্থা করা হলেও এবার এক পর্বেই এ সম্মিলনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কিছুদিন ধরে বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে বিশ্ব ইজতেমাকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে। কোনোভাবেই এটাকে ভাগ করতে দেয়া যাবে না। গতবছরও গোলযোগ রাস্তায় এসে গিয়েছিল। আমরা এটা সফলভাবে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয়েছি।  ‘এবার দূরত্বটা অনেক বেশি, আরও শক্ত হয়েছে। শক্ত কারণগুলোর জট খুলতে আমাদের একটু শক্ত হতে হয়েছে। দু’পক্ষকে এক জায়গায় বসাতে সক্ষম হয়েছি, যাতে এক জায়গায় করতে পারি। এ জন্য নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের।’ সেদিন তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে নির্বাচনে জয়ী হলো সরকার, প্রথম কাজটাই যদি হয় তাবলিগ জামাতের ইজতেমা হচ্ছে না, নিন্দুকের তো আর অভাব নেই। বলবে যে তাবলিগটাই ভেঙে দিয়েছে। এর সঙ্গে সরকারের ইমেজ জড়িত। তাবলিগ-জামাত হতে হবে, একসঙ্গে হতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের সঙ্গে জড়িত।  প্রতিমন্ত্রী সেদিন বলেন, আজকে সবাই একমত যে, ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি একত্রে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। তবে কিছু কিছু কথা আছে সে কারণে আবারও একসঙ্গে বসতে হবে।
তাবলিগের বিবদমান দু’পক্ষ দুদিন করে চার দিন ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে। প্রথম দুদিন ইজতেমার নেতৃত্ব দেবেন মাওলানা জুবায়ের এবং শেষ দুদিনের নেতৃত্ব দেবেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম।
যেভাবে চিনবেন প্লাস্টিক চাল
অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের ডিম। আর সম্প্রতি গত ৪ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার একটি দোকান থেকে ১৫ কেজি চাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।পরীক্ষার জন্য জব্দ চাল ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিকের চাল,ভেজাল ডিম বা বিষাক্ত খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। বাজারে হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওই প্লাস্টিকের চাল বিক্রি হচ্ছেও বলে অনেকের ধারণা। পুষ্টিবিদ মাহফুজা নাসরীন মতে, প্লাস্টিক চাল দীর্ঘদিন ধরে খেলে ক্যানসার, হজমের রোগ, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়াসহ একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে।তবে সুস্থ থাকতে হলে প্লাস্টিকের চাল চেনা জরুরি। আসুন জেনে নেই কীভাবে চিনবেন প্লাস্টিকের চাল। প্লাস্টিক চাল চেনার উপায় বাসমতি চালের মতো বিষাক্ত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় এই চাল। দেখতে একেবারে সাধারণ চালের মতো হয়। আর রান্না করার পর অনেকটা বাসমতি রাইসের মতো দেখতে লাগে। রান্না করার সময় অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্ত থাকে প্লাস্টিক চাল রান্না করার সময় অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্ত থাকে, যা সাধারণ চালের ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় না। এক গ্লাস পানি এক গ্লাস পানি নিয়ে তাতে আল্প করে চাল মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। যদি দেখেন চালটা পানির উপরে ভাসছে, তাহলে বুঝবেন এটা প্লাস্টিক চাল। আগুন অল্প করে চাল নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিন। যদি দেখেন আগুন লাগানোর পর প্লাস্টিকের গন্ধ বের হচ্ছে, তাহলে ভুলেও ওই চাল খাবেন না। এছাড়া আগুন দেয়ার পর যদি দেখেন চাল গলে গেছে তাহলে সেটা বিষাক্ত প্লাস্টিক চাল।
অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের ডিম। আর সম্প্রতি গত ৪ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার একটি দোকান থেকে ১৫ কেজি চাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।পরীক্ষার জন্য জব্দ চাল ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জমে উঠেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন
সাদা ও নীল দলের প্রচারণায় জমে উঠেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই প্যানেলে বিভক্ত সাদা ও নীল দল নামে।  মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয় সাদা ও নীল দল। সাদা প্যানেলের নেতারা নির্বাচনী প্রচারণা শেষে মাহানগর দায়রা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করে। এতে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা কায়সার, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি প্রার্থী গাজী শাহে আলম, সম্পাদক পদপ্রার্থী আসাদুজ্জামান খান রচি।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসম্পাদক প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, ট্রেজারার পদপ্রার্থী আবদুল জলিল আফরাদ কবির, লাইব্রেরি সম্পাদক মো. আতাউর রহমান খান রুকু প্রমুখ।  দুই দলের ২৭ জন করে প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি সদস্য ও বাকিগুলো সম্পাদকীয় পদ রয়েছে। এর আগে নীল দল কোর্ট চত্বরে র‌্যালি বের করে।  এতে মোট ভোটার প্রায় ১৯ হাজার। আর আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার রয়েছে বলে জানিয়েছে সমিতি কর্তৃপক্ষ।  তবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  সাদা দলের সিনিয়র সহসম্পাদক পদপ্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা জানান,  তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ হবে এবং নিরঙ্কুশ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।  উল্লেখ্য, ২৭ ও ২৮ তারিখে ভোটগ্রহণ শেষ হলে পরদিন ২৯ তারিখ ভোট গণনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
সাদা ও নীল দলের প্রচারণায় জমে উঠেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই প্যানেলে বিভক্ত সাদা ও নীল দল নামে।
আরও একদিন বাড়ল ইজতেমা
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা আরও একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তিনদিনের পরিবর্তে চারদিনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। তিনি বলেন, আগামী ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি ঐক্যবদ্ধভাবে অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, প্রথম দুইদিন ইজতেমা পরিচালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের এবং শেষের দুই দিন ইজতেমা পরিচালনা করবেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত তাবলিগের দু’পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত করেন।  এদিন মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর দুই পর্বে ভাগ করে দেশের ৬৪ জেলার মানুষের জন্য ইজতেমার ব্যবস্থা করা হলেও এবার এক পর্বেই এ সম্মিলনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  তাবলিগের দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে মাওলানা জুবায়েরুল হাসান, মাওলানা ওমর ফারুক, সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম, খান শাহাবুদ্দিন নাসিম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, তাবলিগ জামায়াতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দীন মারকাজের বিরোধিতা করছেন পাকিস্থানের তাবলিগি নেতৃবৃন্দ। তাই তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দীন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি। ১১ জন শুরা সদস্যের মাঝে ছয়জন নিজামুদ্দীনের পক্ষে থাকলেও বাকি পাঁচজন আলমি শুরার পক্ষে অবস্থান নেন। এ অংশের বিরোধিতায় বিগত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ইজতেমায় অংশ না নিয়েই মাওলানা সাদকে ঢাকা ছাড়তে হয়। পরে কাকরাইল মসজিদে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর তিন চিল্লার সাথীদের জোড় এবং ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর বিরোধিতা করে ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১১ জোড় এবং জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে অপর পক্ষ। এরপর দু’পক্ষের কোন্দল চলতে থাকলে এ বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত বিশ্ব ইজতেমা নির্বাচনের আগে স্থগিত করা হয়। কিন্তু তার মধ্যেই সাদপন্থীরা ডিসেম্বরের শুরুতে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা দিলে দেওবন্দপন্থীরা টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ দখল করে পাহারা বসায়। ১ ডিসেম্বর ভোর থেকে সা’দের অনুসারী শত শত মানুষ টঙ্গীর পথে রওনা হলে পরিস্থিতি বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন বাঁশ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে পড়ে প্রাণ যায় সত্তর বছর বয়সী এক বৃদ্ধের, দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। পরে দু’পক্ষের অনুসারীদের বের করে দিয়ে ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাবলিগ জামাতের ইতিহাসে এ প্রথম ইজতেমা ও জোড়ের তারিখ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্ব নিরসন করতেই দু'পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা আরও একদিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে তিনদিনের পরিবর্তে চারদিনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দেখে যা বললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। চার দিনের সফরে ঢাকায় আসা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সোমবার সকালে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন এ হলিউড অভিনেত্রী। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত হয়ে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন এই বিশেষ দূত। এর আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি জানান, মিয়ানমারে যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। নির্যাতিতরা তাকে বলেছেন- হয় আমাদের বাংলাদেশে রাখ নইলে গুলি কর। কিন্তু রাখাইনে ফেরত দিও না। হলিউড অভিনেত্রী বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের যেন ফেরত পাঠানো না হয় সেটি দেখা এখন সবার দায়িত্ব। মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও অন্য সুবিধা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হলিউড অভিনেত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যাটা এত বড় যে বাংলাদেশের পক্ষে একা সামলানো সম্ভব নয়। তাই সবার সহযোগিতা দরকার। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেই প্রথমবারের মতো নিবন্ধিত হলো। এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশে অবস্থানরত এসব রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২১ মে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের দেখতে এসেছিলেন বলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
প্লাস্টিকের চালে হতে পারে ক্যানসার
সম্প্রতি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিকের চাল। গত ৪ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার একটি দোকান থেকে ১৫ কেজি চাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাছুম আলীকে বিষয়টি জানান। এরপর ইউএনও উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করা হয়। পরীক্ষার জন্য জব্দ চাল ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।  গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এই প্লাস্টিকের চান নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্লাস্টিকের চাল শরীরে জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়া দীর্ঘদিন এই চাল খেলে হজমে সমস্যা, এলার্জি, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, কিডনি সমস্যাসহ ক্যানসার হতে পারে।  প্লাস্টিকে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান থাকে। বিশেষ করে প্লাস্টিকের চাল হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়া ঠিক নয়। আসুন জেনে নেই প্লাস্টিকের চাল খেলে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে।  হজমে সমস্যা প্লাস্টিকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান থাকে। তাই এই চাল পেটে হজমের সমস্যা তৈরি করে। প্লাস্টিকের চাল খেলে ডায়েরিয়া, আমাশয়, পেটব্যথাসহ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।  এলর্জি সমস্যা প্লাস্টিকের চাল খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় এলার্জি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন এই চাল খেলে পাকস্থলীর সমস্যা ও এলার্জি বেড়ে যাবে। এমনো হতে পারে যদি এই চাল খাওয়া বন্ধ না করেন তবে ওষুধ খেলেও কাজ দেবে না।  পাকস্থলীর  প্লাস্টিকের চালে লিভারে ক্ষতি হয়। এই চাল খেলে লিভারে নানা ধরনের জটিল রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই বাজারে থেকে যাচাই করে চাল কিনুন।  কিডনির সমস্যা ও ক্যানসার প্লাস্টিকের চাল কিডনির ওপর প্রভাব ফেলবে। যেহেতু এটি বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি। এছাড়া কেউ যদি এক থেকে দেড় বছর এই চালের ভাত খান তবে শরীরের ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে।    আলরাজী ইসলামি হাসপাতাল, বনশ্রী, রামপুরা ঢাকা।
সম্প্রতি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিকের চাল। গত ৪ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার একটি দোকান থেকে ১৫ কেজি চাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাছুম আলীকে বিষয়টি জানান। এরপর ইউএনও উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করা হয়। পরীক্ষার জন্য জব্দ চাল ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৪ শিক্ষার্থীর পরিবারকে এক লাখ করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ
সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে তিন শিশুশিক্ষার্থী এবং এক কলেজছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  একই সঙ্গে ওই চার শিক্ষার্থীর পরিবারকে কেন ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার  জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।  এছাড়াও এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। এর আগে চট্টগ্রামে গত ২২ জানুয়ারি অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ও ১৬ জানুয়ারি এক কলেজশিক্ষার্থী এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে গত ২৮ জানুয়ারি সহোদর দুই শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। পরে ওই ঘটনায় চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। পরে আব্দুল হালিম বলেন, আদালত ক্ষতিপূরণের আদেশ ছাড়াও দুর্ঘটনার প্রতিবেদন কিংবা মামলা এবং নিহতদের নাম, পরিচয়, চালক ও পরিবহনগুলোর মালিকের পরিচয় আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন। রুলে সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশ ও বিধি অনুসারে মোটরযান চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণে ব্যর্থতা, ওইসব ঘটনায় মামলা না করা, চালকদের গ্রেফতার না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদশর্ক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনারসহ ১৪ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে বাসা থেকে বের হয়ে টেম্পো করে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় স্কুলছাত্র কাজী মাহমুদুর রহমান (১৪)। মাহমুদ সরকারি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরে ১৬ জানুয়ারি কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়ে সড়কে প্রাণ হারান চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোমা বড়ুয়া (১৮)। এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর মোল্লারপুল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাইবোন নিহত হয়। তারা হলো- হাসনাবাদ কসমোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আফরিন (১৩) ও তার ছোট ভাই এবং একই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আফসার উদ্দিন (১০)।
সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে তিন শিশুশিক্ষার্থী এবং এক কলেজছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মাদক মামলা নিষ্পত্তিতে ৬ মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট
আদালত ইতিমধ্যে মাদক আইনের যেসব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে, সেগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন বছর ধরে কারাগারে থাকা মাদক মামলার আসামি মিজানুর রহমান বাড়ৈর জামিন শুনানির সময় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ৬০০ ইয়াবাসহ মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করার পর তার বিরুদ্ধে মাদারীপুরের রাজৈর থানায় মামলা করে পুলিশ।  এর পর থেকেই মিজানুর রহমান কারাভোগ করছেন। পাশাপাশি চলছে তার মামলা। মামলার রায় হওয়ার আগেই ইতিমধ্যে তিনি তিন বছর শাস্তি ভোগ করেছেন।  আজ আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ। ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, মিজানুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কারাগারে। তদন্ত কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে পারেননি। এ কারণে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় আদালত বলেন, মাদক আইনের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। আর এ জন্য সব জেলার ডিসি, এসপি, ওসি ও আইওকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতা থাকলে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তাকেও সাক্ষী আনাসহ মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।   তা না হলে তাদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আদালত ইতিমধ্যে মাদক আইনের যেসব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে, সেগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোহিঙ্গারা বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে এটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত বব রের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।  রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে এ অঞ্চলে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।  তবে এটি শুধু মিয়ানামার ও বাংলাদেশের জন্য নয়; বরং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের জন্যও সমস্যার কারণ হতে পারে। ফলে এটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে এখনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর এ কারণেই সেখান থেকে এখনও লোকজন পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে। তবে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।  এ সময় বব রে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আমাদের অনেক কিছু করতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসহ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অবশ্যই জরুরি।  এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেও জেনেছি, তারা তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরতে চায়। তবে অবশ্যই তাদের সে বিষয়ে নিরাপত্তা দিতে হবে, বলেন তিনি।  রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বব রে বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলোচনা চলমান রয়েছে। তবে সফল হয় কিনা বলতে পারছি না।  এর আগে পাঁচ দিনের সফরে শুক্রবার বাংলাদেশে আসেন বব রে।
রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে এটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আন্তরিক হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
পুলিশের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অনেক সময় মামলা তদন্তে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিশেষ নজর দিতে হবে পুলিশকে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পুলিশের দেয়া মামলায় যেগুলো নানা জটিলতায় আদালতে ঝুলে আছে। মামলাজট কমিয়ে আনতে আলাদা একটি টিম তৈরির তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।  শেখ হাসিনা বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আর সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর গৌরব ধরে রাখতে হবে।  তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নানা সংকট মোকাবেলা করছে। পুলিশের কী কী দরকার বাহিনী তা চাওয়ার আগেই পূরণ করেছে সরকার।  অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং সাইবার ক্রাইমের বিষয়ে পুলিশকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সাইবার ক্রাইমের বিষয়ে সজাগ থাকার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার পর কেউ কেউ কথা বলেছে। কিন্তু এটি আমরা করেছি মানুষের নিরাপত্তা দিতে। নিরীহ মানুষ আছে, তাদের অধিকার সংরক্ষিত রাখতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।
পুলিশের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিটি নির্বাচনেও কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের নির্দেশ সিইসির
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ও আপসহীন ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং এবং এক্সিকিউটিভ অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিংয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।  কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, সেটি দেখার দায়িত্ব আপনাদের নয়; সেটি দেখবেন ভোটাররা। আপনাদের দেখার বিষয় হচ্ছে- আচারণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা সেটি।    নুরুল হুদা বলেন, কমিশনের সবাই একটি কথাই বলেছেন যে, আইনানুগ নির্বাচন করতে। আমিও বলব- আপনারা সবাই আইনানুগ নির্বাচন করেন।  ‘কারণ আপনারা সবাই মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। কেউ কোনো ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন না করে সেটি আপনাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’  তিনি বলেন, আপনারা যদি নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে প্রার্থীদের কাছে যান, তা হলে দেখবেন প্রার্থীরাও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আপনাদের সহায়তা করছেন।         এ সময় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সমআচরণ করবেন। আমরা সবাই চাই -গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। দেশের সবাই তাকিয়ে আছে এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিকে। তাই সবাই খুব গুরুত্ব সহকারে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাৎ হোসেন, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ও আপসহীন ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা শুনলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত ও হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।    মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন তিনি।  সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছান জোলি। এর পর এক্সটেনশন-৪ ক্যাম্প ও সেখানকার শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। পরে কুতুপালং ৩নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্যাম্পে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারীদের দুর্দশার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।  দুপুরে কুতুপালং ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হোপ ফাউন্ডেশন পরিচালিত হাসপাতাল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।  এ ছাড়া বিকাল ৩টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকে প্রেস ব্রিফিংয়ে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন তিনি। কক্সবাজারের টেকনাফের চাকমারকুল ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তাদের সঙ্গে খেলা করেন জোলি। তাদের অভিজ্ঞতার কাহিনী শুনে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বাংলাদেশে এই প্রথম আসা জোলি সোমবার সকালে ঢাকায় নেমেই কক্সবাজার যান। আমেরিকান অভিনয়শিল্পী অ্যাঞ্জেলিনা ২০১২ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন। তিন দিনের সফরের বেশিরভাগ সময়ই জোলি কক্সবাজারে কাটাবেন। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের ইনানীতে পাঁচতারকা হোটেলে ওঠেন জোলি। সেখান থেকে দুপুর ১টায় তিনি হোয়াইক্যাং ইউনিয়নে চাকমারকুল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে যান। এ সময় তিনি গণধর্ষণ ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ক্যাম্পের জি, ই ও ডি ব্লকে রোহিঙ্গা বসতি ঘুরে ঘুরে দেখেন। ক্যাম্পের ডি ব্লকের কমিউনিটি সেন্টারে রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন জোলি। ডি-ব্লকের বাসিন্দা রোহিঙ্গা নেতা রশিদ উল্লাহ জানান, ‘হলিউড অভিনেত্রী ডি-ব্লকের অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে ধর্ষণের শিকার নারীদের বুকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। জোলি তাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন। বেশ কিছু সময় তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কাটান। পরে বিকাল ৪টার দিকে তিনি ক্যাম্প ত্যাগ করে হোটেলে ফেরেন।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত ও হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন তিনি।
সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হোঁচট খাচ্ছেন যোগদান করতে গিয়ে
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে ৩৯ হাজার ৩১৭টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সুপারিশ তালিকা প্রকাশ করে। ১৪টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মেধাক্রম অনুযায়ী ১৫ হাজার ১৫৭ প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীরা সুপারিশ পান। এর দুদিন পর যোগদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু সুপারিশ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদান করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। প্রতিষ্ঠানগুলোর অসহযোগিতার কারণে বেশিরভাগ প্রার্থীই কাজে যোগ দিতে পারছেন না। কোথাও প্রার্থীর কাছে অর্থ দাবির অভিযোগ উঠেছে। কোনো প্রতিষ্ঠান বলছে, সুপারিশ করা পদ বিদ্যমান নেই। আবার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হচ্ছে- সুপারিশকৃত পদের চাহিদা দেননি তারা। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হলেও এমপিওভুক্ত হিসেবে পদের চাহিদা দিয়েছে। এ কারণে মনোনীত প্রার্থীরা ওইসব প্রতিষ্ঠানে যোগদানে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ নিয়ে এভাবে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে।  সোমবার রাজধানীর এনটিআরসিএ কার্যালয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী শত শত চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। তারা সংস্থাটির অভিযোগ কেন্দ্রে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করছেন। আবার কেউ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের কাছে সরাসরি অভিযোগ দিচ্ছেন। তথ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, দৈনিক গড়ে দুই থেকে আড়াইশ অভিযোগ জমা পড়ছে। এখন পর্যন্ত সহস্রাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে নানা কিসিমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানতে চাইলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন যুগান্তরকে বলেন, সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাচ্ছি।  সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কোনো বাহানায় কোনো প্রতিষ্ঠানই প্রার্থীদের কাজে যোগদানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারবে না। নীতিমালায় পরিষ্কারভাবে শাস্তির কথা নির্দেশিত আছে। আমরা এক মাস অপেক্ষা করব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের যোগদান করতে না দিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোতে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পাঠাব। সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা জানান, যোগদানে বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকেই সুপারিশপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন তারা। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্তির খরচসহ নানা নামে প্রার্থীদের কাছে অর্থ দাবি করা হচ্ছে। রংপুর থেকে আসা এক প্রার্থী জানান, তার কাছে প্রতিষ্ঠানপ্রধান এমপিওভুক্তির কাজের জন্য আগাম অর্থ চেয়েছেন। সেটি যোগদানের আগেই দিতে হবে। কিন্তু তার পক্ষে দাবিকৃত অর্থ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি এনটিআরসিএতে অভিযোগ জানাতে এসেছেন। পাবনা জেলার কদমতলা উপজেলায় সফি ফতেয়ালী ওয়াসী মহিলা মাদ্রাসায় নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও যোগদান করতে গিয়ে দেখেন এ প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত নয়।  তাই সেখানে যোগদান না করে তিনি এসেছেন অভিযোগ নিয়ে। তাদের মতো এমন শত শত ভুক্তভোগী নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়ে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন এনটিআরসিএতে। চট্টগ্রামের গহিরা কলেজে কৃষি বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও কলেজে এ বিষয় না থাকায় যোগদান করতে দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে চার প্রার্থী সুপারিশকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, গহিরা কলেজে তাদের চারজনকে কৃষি বিষয়ে ‘প্রভাষক’ পদে যোগদানের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে গেলে অধ্যক্ষ তাদের জানান, কৃষি বিষয়ে এখনও তারা অনুমোদন পাননি। এনটিআরসিএতেও তারা চাহিদা দেননি। তাই এখানে যোগদান করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অবশ্য অধ্যক্ষ একটি লিখিত দিয়েছেন, যা এনটিআরসিএতে জমা দিয়েছেন তারা। এভাবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রার্থীরা নানা অভিযোগ দাখিল করছেন। এর মধ্যে প্রার্থীদের যোগদানে বাধা দেয়ার অভিযোগই বেশি বলে জানান এনটিআরসিএর তথ্য ডেস্কের এক কর্মকর্তা। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন যুগান্তরকে বলেন, আদালতের নির্দেশ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিওভুক্তি নীতিমালায় বলা আছে- এনটিআরসিএতে শিক্ষক-কর্মচারীর চাহিদা দিলে ওই পদে (এনটিআরসিএর) নির্বাচিত বা মনোনীত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। প্যাটার্ন অতিরিক্ত চাহিদা দিলে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগকারী ব্যক্তিকে শতভাগ বেতনভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদান করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বেতনভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে কমিটি ভেঙে দিতে পারবে। যথাসময়ে সুপারিশসহ আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাব।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে ৩৯ হাজার ৩১৭টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সুপারিশ তালিকা প্রকাশ করে।
মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ হবে প্রথম
পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেছেন, চলতি অর্থ বছরে ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে মাছে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে যাবে।  সোমবার বিবিএস আয়োজিত বাস্তবায়নাধীন কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি প্রকল্পের আওতায় ২য় জোনাল অপারেশনে নিয়োজিত বিভাগীয়/জেলা সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কৃষ্ণা গায়েন বলেন, কৃষি অবকাঠামোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে পরিসংখ্যান ব্যুরো কৃষি শুমারি ২০১৮ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এটি বিবিএস’র একটি বড় কাজ। যা পারস্পরিক সহযোগিতা ও কর্মনিষ্ঠা ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে চার নম্বরে। পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই জাতীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও চীনের উদ্ভাবিত মাছের জাত এখন বাংলাদেশের সাফল্য। এসব দেশকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাছ উৎপাদনে প্রথম চীন এবং দ্বিতীয় ভারত। ২০২২ সালে বাংলাদেশই মাছ উৎপাদনে প্রথম হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বিকাশ কিশোর দাস, অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাফর আহাম্মদ খান ও অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন এবং মাহমুদা আকতার।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন বলেছেন, চলতি অর্থ বছরে ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালে মাছে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বর অবস্থানে যাবে।
ড. মোমেনের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।  সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মারসুদি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনে সাক্ষাৎকালে আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কাঠামোর আওতায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।   ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নয়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে প্রিফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট বিষয়ে আলোচনা এ মাসেই শুরু হচ্ছে জেনে উভয় মন্ত্রীই সন্তোষ প্রকাশ করেন । তারা আশা প্রকাশ করেন যে, শিগগিরই চুক্তিটি চ‚ড়ান্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ক্যারিয়ার মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের জন্য দেশটির অনুমোদন ত্বরান্বিত করতে মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন ড. এ কে আবদুল মোমেন।  এ মনিটরিং সিস্টেম কার্যকর হলে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের জনগণ স্যাটেলাইটকেন্দ্রিক নানা ধরনের সুবিধা পাবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
পোপ ও গ্র্যান্ড ইমামের চুম্বনের দৃশ্য ভাইরাল
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে ভ্রাতৃত্ব ও সম্মিলনের অঙ্গীকার করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। সফরের অংশ হিসেবে সোমবার মিসরের ঐতিহাসিক আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমামের(শাইখুল আজহার) সঙ্গে এক ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। এতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ইতি টানার তাগিদ দেওয়া হয় এতে। যৌথ বিবৃতির নথিটির নাম দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ, নির্যাতন ও অবিচারের শিকার এবং যারা বিশ্বের কোনও প্রান্তে অত্যাচারের শিকার তাদের জন্য। ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের পর দুই নেতার চুম্বনের দৃশ্য ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, আমরা ঘোষণা করছি, কোনও ধর্ম কখনওই যুদ্ধ, ঘৃণার মনোভাব, শত্রুতা ও চরমপন্থায় যাবে না। হিংসা ও রক্তপাত ঘটে এমন কোনও কাজও করবে না। পশ্চিম এশিয়ার সব মুসলিমদের উদ্দেশে মিসরের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে। তাদেরও সে দেশে থাকার পূর্ণ অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসও পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, শান্তির রাস্তা গড়ে তুলতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে চলতে হবে। পোপ ফ্রান্সিস ৪০ ঘণ্টার সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত  গিয়েছিলেন । বিরাট আড়ম্বরের সঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানান আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। মঙ্গলবার আমিরাতে এক লাখ ২০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে পোপের। এই ভাষণে ইয়েমেন যুদ্ধের বিষয়ে তিনি কী বলেন সে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে ভ্রাতৃত্ব ও সম্মিলনের অঙ্গীকার করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। সফরের অংশ হিসেবে সোমবার মিসরের ঐতিহাসিক আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ইমামের(শাইখুল আজহার) সঙ্গে এক ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। এতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ইতি টানার তাগিদ দেওয়া হয় এতে।
কাশ্মীরিদের দেশদ্রোহী বানানোর অপতৎপরতা থেকে সরে আসার আহ্বান
কাশ্মীরিদের দেশদ্রোহী বানানোর অপতৎপরতা থেকে সরে আসার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রতিবেশী ভারতের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। কাশ্মীরি জনগণের পাশে পাকিস্তান সবসময় ছিলো জানিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা কাশ্মীর বিষয়ে একচুল পরিমাণও ছাড় দিতে রাজি নই।  তিনি ভারত সরকারের প্রতি কাশ্মীরি জনগণকে তাদের ন্যায্য অধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।  ৫ ফ্রেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবসের আয়োজনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলফি ও প্রধানমন্ত্রী  ইমরান খান ভারতের ব্যাপক সমালোচনা করেন।  ভারতশাসিত কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের মাধ্যমে ১৯৯০ সাল থেকে প্রতিবছরের ৫ ফ্রেব্রুয়ারি পাকিস্তানিরা কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করে আসছে। সে ধারাবাহিকতায় এবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়েছে দিবসটি। কাশ্মীর সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি পালিত হয়েছে দেশটিতে। সকাল ১০ টায় তোপধ্বনির পর কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার ছুটি ঘোষণা করে। দেশব্যাপী র‌্যালিসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে পাকিস্তানের জনগণ কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
কাশ্মীরিদের দেশদ্রোহী বানানোর অপতৎপরতা থেকে সরে আসার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রতিবেশী ভারতের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
খাশোগিকে নিয়ে বই লিখলেন তার তুর্কি বাগদত্তা
তুরস্কের মার্কিন কনস্যুলেটে নৃশংসভাবে খুন হওয়া সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নিয়ে বই লিখেছেন তার তুর্কি বাগদত্তা খাদিজা সেনগিজ। ‘জামাল খাশোগি’ তার জীবন, সংগ্রাম ও গোপন রহস্য নামে বইটি লেখা হয়েছে। বাগদত্ত হারানো আলোচিত এই নারী বইটি পড়তে বিশ্ববাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। বইটিতে খাশোগির হত্যাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি নিজেদের মধুময় অতীতের স্মৃতিচারণও করেছেন বাগদত্তা খাদিজা।   খাদিজা সেনগিজ তার ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে ‘জামাল খাশোগি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন এবং তাকে যারা পছন্দ করেন,তাদের বইটি কিনে পড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেন, তুর্কিজ ভাষায় প্রকাশিত বইটির ইংরেজি অনুবাদ দ্রুতই বাজারে নিয়ে আসা হবে। প্রসঙ্গত,তুর্কি রমণী খাদিজা সেনগিজকে বিয়ে করার জন্য জামাল খাশোগির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন করতে গত বছরের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। এ সময় কনস্যুলেটের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন খাদিজা। কিন্তু প্রবেশ করার পরে সেখান থেকে জামাল খাশোগি আর বের হননি। পরে জানা যায় কনস্যুলেটের ভেতরে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।  খাশোগি হত্যার বিষয়টি প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান শুরু থেকেই এ হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারকে দোষারোপ করে আসছে।  সূত্র: সিএনএন ও আল জাজিরা
তুরস্কের মার্কিন কনস্যুলেটে নৃশংসভাবে খুন হওয়া সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নিয়ে বই লিখেছেন তার তুর্কি বাগদত্তা খাদিজা সেনগিজ। ‘জামাল খাশোগি’ তার জীবন, সংগ্রাম ও গোপন রহস্য নামে বইটি লেখা হয়েছে। বাগদত্তহারানো আলোচিত এই নারী বইটি পড়তে বিশ্ববাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
লেবাননে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেল হিজবুল্লাহ
লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলন সোমবার বলেছে, নিজেদের স্বার্থে তারা কখনও রাষ্ট্রীয় তহবিল ব্যবহার করবে না। দেশটিতে নতুন জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ দেয়া হয়েছে হিজবুল্লাহকে। শিয়া গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, আন্দোলন সম্পৃক্ত হওয়ায় তারা সরকারের এ পদটি বেছে নিয়েছে। তবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি সংগঠনটির কোনো সদস্য নন। আট মাসের অচলাবস্থার পর গত সপ্তাহে লেবাননের নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। এতে মন্ত্রিসভার তিনটি পদ দখল করেছে ইরান সমর্থিত ভারী অস্ত্রসমৃদ্ধ হিজবুল্লাহ আন্দোলন। লেবাননের নতুন মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদে ডা. জামিল জাবাককে মনোনয়ন দিয়েছে হিজবুল্লাহ আন্দোলন। তারা এই প্রথম কোনো বড় বাজেটের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছে। হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। লেবাননের নতুন সরকারকে হিজবুল্লাহর কাছ থেকে কোনো সহায়তা না নেয়ার অনুরোধ করেছে ওয়াশিংটন।   হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, তারা যাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিয়েছেন, তিনি আন্দোলনের কোনো সদস্য নন। কাজেই কাজ চালিয়ে যেতে ও অবাধ ভ্রমণে তার কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা না। নাসরাল্লাহ বলেন, অবশ্যই জাবাক আমাদের ভাই ও বন্ধু। তিনি আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন। তাকে এমন একটি মন্ত্রণালয় দেয়া হয়েছে, যাতে লেবাননের সব মানুষ সুবিধা পেতে পারেন। তিনি লেবাননের সব নাগরিকের মন্ত্রী। ইসলাম অনুসারে রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহারের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাসান নাসরাল্লাহ। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও অর্থ অপচয়ের বিরুদ্ধে অগ্রাধিকার দিচ্ছে নতুন সরকার।
লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলন সোমবার বলেছে, নিজেদের স্বার্থে তারা কখনও রাষ্ট্রীয় তহবিল ব্যবহার করবে না। দেশটিতে নতুন জোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ দেয়া হয়েছে হিজবুল্লাহকে।
২০২১ সালের মধ্যে ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে রাশিয়া
পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার জবাব দিতে ২০২১ সালের আগেই শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিসম্পন্ন ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণান্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে হবে রাশিয়াকে।  মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমন কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আরআইএ। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু নতুন দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নির্মাণে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং ২০২১ সালের মধ্যে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের কাজ শেষ করতে নিশ্চয়তা চেয়েছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) চুক্তি থেকে ছয় মাসের মধ্যে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর একই পথ অনুসরণ করল রাশিয়া। শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ঠাণ্ডা যুদ্ধের আমলের চুক্তিটি থেকে রাশিয়া নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, চুক্তির মার্কিন অংশীদার ঘোষণা দিয়েছে যে তারা এতে থাকছে না। কাজেই তাদের মতো করে আমরাও নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৯৮৭ সালে সই হয়েছিল এ চুক্তি। এতে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউরোপ থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল দুপক্ষকেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত শুক্রবার বলেন, আইএনএফ চুক্তি মেনে চলার ক্ষেত্রে যে বাধ্যবাধকতা ছিল, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার থেকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত রাখছে। কাজেই এটির ফের বাস্তবায়ন চাইলে বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনায় সম্মত হতে রাশিয়াকে ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়ার কথাও জানিয়েছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মস্কো দীর্ঘদিন ধরে এই চুক্তির লংঘন করে আসছে। বিপরীতে শুরু থেকেই রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে যাচ্ছে। ওয়াশিংটনের নতুন এ পদক্ষেপ মস্কোর ওপর চাপ বেড়েছে। পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা, এতে ইউরোপকে কেন্দ্র করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। এশিয়ায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও উত্তেজনা বাড়তে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক দিন ধরেই নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি করতে এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বাইরে অন্যান্য দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এদিকে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া নতুন করে শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিরসহ বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে নতুন করে নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা শুরু না করতে মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার জবাব দিতে ২০২১ সালের আগেই শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি গতিসম্পন্ন ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণান্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে হবে রাশিয়াকে।
দেশে ফিরেই রাজনীতিতে প্রিয়াংকা!
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। এখন থেকেই দিল্লির মসনদে বসার স্বপ্নে বিভোর কংগ্রেস৷ ঘর গোছাতে দম ফেলার ফুরসৎ নেই৷ তাই বিদেশ থেকে ফিরেই তড়িঘড়ি করে দলের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক সারলেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী৷ উত্তরপ্রদেশে দলের অবস্থা ফেরাতে কী পদক্ষেপ হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে৷ উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের অপর সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও৷ অনেকেই মনে করেন, দাদি ইন্দিরার ছায়া রয়েছে প্রিয়াংকার মধ্যে৷ তাকে রাজনীতির ময়দানে নামালে দিন বদলাবে কংগ্রেসের। আর তাই লোকসভা ভোটের প্রাক্কালকেই বোনের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশের সেরা মঞ্চ হিসাবে বেছে নেন বড় ভাই অর্থাৎ তথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মাত্র ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস৷ অবস্থার আরও অবণতি হয় ১৭ সালে বিধানসভার নির্বাচনে৷ বিধানসভায় পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এলাকা থেকে মাত্র দুটি আসন জিতেছে৷ অবস্থা পরিবর্তনের আশা করছেন প্রিয়াংকাও৷
ভারতের জাতীয় নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। এখন থেকেই দিল্লির মসনদে বসার স্বপ্নে বিভোর কংগ্রেস৷ ঘর গোছাতে দম ফেলার ফুরসৎ নেই৷ তাই বিদেশ থেকে ফিরেই তড়িঘড়ি করে দলের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক সারলেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী৷ উত্তরপ্রদেশে দলের অবস্থা ফেরাতে কী পদক্ষেপ হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে৷ উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের অপর সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও৷ অনেকেই মনে করেন, দাদি ইন্দিরার ছায়া রয়েছে প্রিয়াংকার মধ্যে৷ তাকে রাজনীতির ময়দানে নামালে দিন বদলাবে কংগ্রেসের। আর তাই লোকসভা ভোটের প্রাক্কালকেই বোনের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশের সেরা মঞ্চ হিসাবে বেছে নেন বড় ভাই অর্থাৎ তথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে মাত্র ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস৷ অবস্থার আরও অবণতি হয় ১৭ সালে বিধানসভার নির্বাচনে৷ বিধানসভায় পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এলাকা থেকে মাত্র দুটি আসন জিতেছে৷ অবস্থা পরিবর্তনের আশা করছেন প্রিয়াংকাও৷
সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে মার্কিন সিনেটে ভোট
সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার বিপক্ষে ভোট দিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে রিপাবলিকান দল নিয়ন্ত্রিত সিনেট। এর কারণ হিসেবে রিপাবলিকান দল বলছে- সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করা হলে তাতে ইরান ও রাশিয়া লাভবান হবে। খবর বিবিসির। সেনা প্রত্যাহার করার বিরুদ্ধে স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন সিনেটে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৭৬টি। আর বিপক্ষে পড়ে ২৬ ভোট। তবে সিনেটে পাস হওয়া এ প্রস্তাব প্রেসিডেন্টকে মানতেই হবে এর কোনো বাধ্যবাদকতা নেই। মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেন, সিরিয়া ও আফগানিস্তান দুই দেশেই আইএসবিরোধী যুদ্ধ এখনও চলছে এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠী পরাজিত করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে। এ দুই দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে বলেও সিনেট সতর্ক করেছে।
সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার বিপক্ষে ভোট দিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে রিপাবলিকান দল নিয়ন্ত্রিত সিনেট। এর কারণ হিসেবে রিপাবলিকান দল বলছে- সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করা হলে তাতে ইরান ও রাশিয়া লাভবান হবে। খবর বিবিসির। সেনা প্রত্যাহার করার বিরুদ্ধে স্থানীয় সময় সোমবার মার্কিন সিনেটে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৭৬টি। আর বিপক্ষে পড়ে ২৬ ভোট। তবে সিনেটে পাস হওয়া এ প্রস্তাব প্রেসিডেন্টকে মানতেই হবে এর কোনো বাধ্যবাদকতা নেই। মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেন, সিরিয়া ও আফগানিস্তান দুই দেশেই আইএসবিরোধী যুদ্ধ এখনও চলছে এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠী পরাজিত করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে। এ দুই দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে বলেও সিনেট সতর্ক করেছে।
ভুয়া ভার্সিটিতে ভুয়া শিক্ষার্থী, অপরাধ সম্পর্কে জানতেন আটক ভারতীয়রা
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অভিযোগে আটক ১২৯ ভারতীয়সহ ১৩০ বিদেশি তাদের অপরাধ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার ব্যাপারে তারা আগে থেকেই জানতেন। নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসে ভারতের বিরল কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানোর কয়েক দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট বিভাগ এমন তথ্য জানিয়েছে।-খবর এনডিটিভি অনলাইনের। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক অভিযানে এসব শিক্ষার্থী আটক হয়েছেন। তারা ফারমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি দেখিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চেয়েছিলেন। যদিও এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে নেই। কর্তৃপক্ষ এটিকে থাকার বিনিময়ে অর্থ পরিশোধ প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এতে শিক্ষার্থী ভিসা মর্যাদা বহাল রাখতে বিদেশিদের ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ফারমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক ও কর্মকর্তা হিসেবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের এজেন্টদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভুয়া হলেও সেটির একটি সত্যিকারের ওয়েবসাইট আছে। সেখানে পড়াশোনা, পাঠ্যসূচি, টিউশন ফি ও যোগাযোগের তথ্যও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতে কোনো কর্মকর্তা কিংবা শিক্ষক ছিল না। সত্যিকার কোনো পাঠদানও হতো না। ভুয়া ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাও এসব তথ্য জানতেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি দেখানো প্রতিটি বিদেশি জানতেন যে তারা কোনো সত্যিকার ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন না। তারা কোনো ডিগ্রি কিংবা সার্টিফিকেটও নিচ্ছেন না। কেবল যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করে কাজ করার সুযোগ চেয়েছিলেন তারা। তবে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতীয় সরকার। মার্কিন অভিবাসন সংস্থা বলেছে, কর্তৃপক্ষকে ধোঁকা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতারণামূলকভাবে অভিবাসন নথি সংগ্রহ করতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছেন আটকরা। অথচ এসব বিদেশি শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার কোনো ইচ্ছাই নেই। এক বিবৃতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে যেসব শিক্ষার্থী প্রতারিত হয়েছেন, তাদের বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। ধোঁকাবাজদের চেয়ে প্রতারণার শিক্ষার্থীদের প্রতি ভিন্ন আচরণ করা উচিত। নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ফেরত না পাঠিয়ে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ভারত সরকার। মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, প্রতারক চক্র এসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আড়াই লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে মামলার স্পেশাল এজেন্ট স্টিভ ফ্রান্সিস বলেন, কয়েকশ বিদেশিকে শিক্ষার্থী সাজিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকতে সহায়তা করেছেন এ মামলার বিবাদীরা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অভিযোগে আটক ১২৯ ভারতীয়সহ ১৩০ বিদেশি তাদের অপরাধ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়ার ব্যাপারে তারা আগে থেকেই জানতেন।
কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ
ভারতের সুপ্রিমকোর্ট কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে আপাতত গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিবিআই কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার ওই নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট।   একই সঙ্গে রাজীব কুমারকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে সিবিআইয়ের করা আদালত অবমাননার মামলায় আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, রাজ্যের মুখ্য সচিব মলয় দে এবং রাজ্যের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছেন শীর্ষ আদালত। জবাব পাওয়ার পরই শীর্ষ আদালত ঠিক করবে তাদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হবে কিনা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে সুপ্রিমকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করা কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটি আমাদের নৈতিক জয়। শুধু রাজীব নয়, আমি যে কোনো মানুষের পাশে আছি। সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। তাও খারিজ করেছেন শীর্ষ আদালত। মমতা আরও বলেন, আমার লড়াই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নয়। মোদি যেভাবে সরকার চালাচ্ছেন, সেই নীতির বিরুদ্ধে। সুপ্রিমকোর্টের রায় দেশের জনতার রায়।  জনতার জয়। সংবিধানের জয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তল্লাশি চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতে মমতা বনাম কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যকার এ বিরোধ দেশজুড়ে টালটামাল অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
ভারতের সুপ্রিমকোর্ট কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে আপাতত গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিবিআই কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার ওই নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট। একই সঙ্গে রাজীব কুমারকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে সিবিআইয়ের করা আদালত অবমাননার মামলায় আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার, রাজ্যের মুখ্য সচিব মলয় দে এবং রাজ্যের ডিজিপি বীরেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছেন শীর্ষ আদালত। জবাব পাওয়ার পরই শীর্ষ আদালত ঠিক করবে তাদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হবে কিনা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্যদিকে সুপ্রিমকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করা কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটি আমাদের নৈতিক জয়। শুধু রাজীব নয়, আমি যে কোনো মানুষের পাশে আছি। সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। তাও খারিজ করেছেন শীর্ষ আদালত। মমতা আরও বলেন, আমার লড়াই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নয়। মোদি যেভাবে সরকার চালাচ্ছেন, সেই নীতির বিরুদ্ধে। সুপ্রিমকোর্টের রায় দেশের জনতার রায়। জনতার জয়। সংবিধানের জয়। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তল্লাশি চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতে মমতা বনাম কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যকার এ বিরোধ দেশজুড়ে টালটামাল অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
শরণার্থী ফুটবলার আরাবিকে মুক্তি দিতে অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
থাইল্যান্ডের কাছে শরণার্থী ফুটবলার হাকিম আল আরাবিকে মুক্তি দিতে ফের আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার। এর আগে থাই সরকার কৌঁসুলি স্বীকার করেছেন, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সত্ত্বেও আরাবিকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা তার সরকারের রয়েছে। সোমবার মেলবোর্নের ২৫ বছর বয়সী ফুটবলারকে আরও দুই মাস কারাগারে রাখার কথা বলেছেন থাইল্যান্ডের একটি ফৌজদারি আদালত। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তাকে আত্মরক্ষার সুযোগ দিতেই এমনটি করা হয়েছে। শুনানির পর থাই কৌঁসুলি বলেন, দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্বাহী ক্ষমতার বিবেচনায় তাকে মুক্তি দিতে পারেন এবং আল আরাবিকে যে কোনো মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠাতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেইন এক বিবৃতিতে বলেন, আল আরাবিকে বর্তমান আটকাদেশ নিয়ে অস্ট্রেলীয় সরকার গভীর উদ্বিগ্ন। তাকে মুক্তি দিতে থাইল্যান্ড ও বাহরাইনের সর্বোচ্চপর্যায়ে তদবির করে যাচ্ছে তার দেশ। তিনি বলেন, হাকিম আল আরাবির প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার শুনানি শেষে বন্ধু ও পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসার সুযোগ দেয়ার আহ্বান থাইল্যান্ডের কাছে পুনর্ব্যক্ত করেছে তার সরকার। এর আগে থাইল্যান্ডের কারাগারে আটক শরণার্থী ফুটবলার হাকিম আল আরাবি বলেন, তাকে যদি নিজ দেশ বাহরাইনে ফেরত পাঠানো হয়, তবে সেখানে তিনি নির্যাতনের শিকার হবেন। এমনকি তাকে হত্যা করেও ফেলতে পারে। ব্যাংককের রেম্যান্ড কারাগার থেকে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, তিনি খুবই আতঙ্কিত। তার অবস্থা ক্রমে খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাহরাইন থেকে পালিয়ে আসার পর ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় পান আল আরাবি। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে নিজ দেশে তিনি নিপীড়ন, আটক ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। বাহরাইনে তার বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা রয়েছে। আল আরাবি বলেন, বাহরাইনে আমি কিছু করিনি, থাইল্যান্ডেও না- এমনকি অস্ট্রেলিয়ায়ও আমার বিরুদ্ধে কোনো খারাপ রেকর্ড নেই। কাজেই আমাকে এভাবে কেন আটক রাখা হয়েছে? ‘বাহরাইনে আমার মতো মানুষের জন্য কোনো মানবাধিকার কিংবা নিরাপত্তা নেই,’ বললেন এ ফুটবলার। গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে স্ত্রীকে নিয়ে থাইল্যান্ডে মধুচন্দ্রিমায় যান ২৫ বছর বয়সী আল আরাবি। এর আগে পাঁচ বছর ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে একটি ক্লাবে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে খেলতেন। দেশের বাইরে তার ভ্রমণ নিরাপদ কিনা তা জানতে অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার আগে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হন তিনি। তখন বাহরাইন ছাড়া যে কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল। যদিও তার বোন বাহরাইন থেকে তাকে ঝুঁকির ব্যাপারে হুশিয়ারি করেছিলেন। কিন্তু বোনকে তিনি সান্ত্বনা দিয়েছিলেন এই বলে- ‘আমি এখন অস্ট্রেলিয়ায় সুরক্ষায় আছি। তারা আমার কিছু হতে দেবে না।’ কিন্তু থাই বিমানবন্দরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। বাহরাইনের অনুরোধে নিয়মের বাইরে গিয়ে ইস্যু করা ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। বিধিমালা অনুসারে শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষেত্রে রেড নোটিশ জারি করতে পারে না ইন্টারপোল। পরে গত ৪ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে জারি করা নোটিশ তুলে নেয় বিশ্ব পুলিশ সংস্থাটি। এর পর তাকে মুক্তি দিতে অস্ট্রেলীয় সরকারের চাপ দিলে তার আটকাদেশ ৬০ দিন বাড়িয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নিবর্তনমূলক আইনের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড। তাকে প্রত্যর্পণে আদালতের রায়ও স্থগিত করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের কাছে শরণার্থী ফুটবলার হাকিম আল আরাবিকে মুক্তি দিতে ফের আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার।এর আগে থাই সরকার কৌঁসুলি স্বীকার করেছেন, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সত্ত্বেও আরাবিকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা তার সরকারের রয়েছে।
সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্ক সরাসরি যোগাযোগ রাখছে: এরদোগান
সিরীয় সরকারের সঙ্গে নিম্ন-পর্যায়ের যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিদ্রোহীদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন থাকলেও সিরিয়ার সঙ্গে তার দেশের যোগাযোগ রয়েছে। সিরিয়ার আট বছরের যুদ্ধে আসাদকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন এরদোগান। কিন্তু রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে বিদ্রোহীদের হাত থেকে সিরিয়ার বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছেন আসাদ। বিদ্রোহীদের তাড়িয়ে তাদের সাবেক মূল ঘাঁটিতে অবস্থান নিতে বাধ্য করেছেন তিনি। যদিও গত ডিসেম্বরে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে আসাদ জয়ী হলে তার সঙ্গে তুরস্ক কাজ করতে প্রস্তুত। গত মাসে তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইরানের মাধ্যমে দামেস্কোর সঙ্গে পরোক্ষ যোগাযোগ রাখছে তুরস্ক। অবশেষে রোববার এরদোগান বলেন, সিরীয় সরকারের সঙ্গে তুরস্ক সরাসরি যোগাযোগ রাখছে। টিআরটিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সিরিয়ার সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতি নিম্নপর্যায়ে রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে ভিন্নভাবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যকলাপ পরিচালিত হয়ে আসছে।  এরদোগান বরেন, কারণ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সম্পর্কোচ্ছেদ ঘটতে পারে; কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিজেদের স্বার্থে যোগাযোগ রাখতে পারে।
সিরীয় সরকারের সঙ্গে নিম্ন-পর্যায়ের যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিদ্রোহীদের প্রতি তুরস্কের সমর্থন থাকলেও সিরিয়ার সঙ্গে তার দেশের যোগাযোগ রয়েছে।
সুনামির বার্তা নিয়ে আসে যে মাছ!
জাপানি ভাষায় একটি মাছের নাম ‘রিউগু নো সুকাই’। যার অর্থ হচ্ছে- ‘সমুদ্রের ঈশ্বরের অট্টালিকার দূত’।  জাপানিদের বিশ্বাস, যে বছর এই মাছ বেশি দেখা যাবে, সে বছর সুনামি হবে। তাদের ধারণা- এ মাছ বয়ে আনে ভূমিকম্প ও সুনামির বার্তা।  স্বাভাবিকভাবেই এ মাছ সমুদ্রের ২০০ থেকে এক হাজার মিটার গভীরে থাকে। স্থানীয়ভাবে এর নাম দেয়া হযেছে ওয়ারফিশ।  কিন্তু শুক্রবার এ মাছটি ধরা পড়ে জাপানের টোয়ামা এলাকায়। এ নিয়ে এই মৌসুমে প্রায় সাতটি ওয়ারফিশ ধরা পড়ল। লম্বায় এসব মাছ প্রায় ১০-১৫ ফুট হয়ে থাকে।  আর এ কারণেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জাপানিদের মধ্যে।  এর আগে ২০১১ সালে দেখা সমুদ্র তীরে দেখা মিলেছিল প্রায় এক ডজন ওয়ারফিশের। সেবার বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির ফলে ২০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল জাপানে। সেই থেকে এই বিশ্বাস তাদের মাঝে বদ্ধমূল হয়ে যায়।  তবে বিজ্ঞানীদের মতে, এ ধারণার পেছনে কোনো সত্যতা নেই। এ ছাড়া এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই, তাও জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়। কারণ বিজ্ঞানীরা একশ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছেন না যে, ভূমিকম্প হবে না বা সুনামি আসবে না।  তাদের মতে, বিশ্বায়নের ফলে অনেক কিছুরই সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। তার মধ্যে সুনামি অন্যতম।
জাপানি ভাষায় একটি মাছের নাম ‘রিউগু নো সুকাই’। যার অর্থ হচ্ছে- ‘সমুদ্রের ঈশ্বরের অট্টালিকার দূত’।
জীবন দিয়ে ভেনিজুয়েলাকে রক্ষা করব: মাদুরো
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করব। জাতীয় মর্যাদা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে সোমবার তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শেভেজের শাসনামল ১৯৯২ সালে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার দিনটি স্মরণ করতে জাতীয় মর্যাদা দিবস পালন করা হয়। নিকোলাস মাদুরো ছয় বছরের জন্য গত মাসে দ্বিতীয়বার ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তখন থেকে রাজধানী কারাকাসের রাজপথে মাদুরোর সমর্থক ও বিরোধী হাজার হাজার মানুষ পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে বিরোধী নেতা ও সংসদের স্পিকার হুয়ান গুয়াইদো নিজেকে ভেনিজুয়েলার ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ দাবি করে মাদুরোকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। মার্কিন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে গুয়াইদোকে স্বীকৃতি দিয়ে ভেনিজুয়েলার তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন ভেনিজুয়েলাকে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়ার জন্য আট দিনের আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু কারাকাস ওই আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করার পর গত সোমবার রাতে ১৩টি ইউরোপীয় দেশ আমেরিকার পদাঙ্ক অনুসরণ করে হুয়ান গুয়োইদোকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইতালির বিরোধিতার কারণে এ ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে ফ্রান্সের একটি অজ্ঞাত কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করব। জাতীয় মর্যাদা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক ভাষণে সোমবার তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শেভেজের শাসনামল ১৯৯২ সালে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার দিনটি স্মরণ করতে জাতীয় মর্যাদা দিবস পালন করা হয়। নিকোলাস মাদুরো ছয় বছরের জন্য গত মাসে দ্বিতীয়বার ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তখন থেকে রাজধানী কারাকাসের রাজপথে মাদুরোর সমর্থক ও বিরোধী হাজার হাজার মানুষ পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে বিরোধী নেতা ও সংসদের স্পিকার হুয়ান গুয়াইদো নিজেকে ভেনিজুয়েলার ‘অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট’ দাবি করে মাদুরোকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। মার্কিন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে গুয়াইদোকে স্বীকৃতি দিয়ে ভেনিজুয়েলার তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন ভেনিজুয়েলাকে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়ার জন্য আট দিনের আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু কারাকাস ওই আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করার পর গত সোমবার রাতে ১৩টি ইউরোপীয় দেশ আমেরিকার পদাঙ্ক অনুসরণ করে হুয়ান গুয়োইদোকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ইতালির বিরোধিতার কারণে এ ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে ফ্রান্সের একটি অজ্ঞাত কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
গুইদোকে ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বীকৃতি
ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক অবস্থান আরও জোরদার হচ্ছে। কারাকাসে নতুন নির্বাচন দিতে আট দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়ার পর ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, ব্রিটেন, পর্তুগাল, সুইডেন, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস সমন্বিতভাবে গুইদোকে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নিল। লাটভিয়া ও লিথুনিয়াও ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী পেসিডেন্ট গুইদোর পেছনে অবস্থান নিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের আয়োজনে গুইদোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এক টেলিভিশন ঘোষণায় স্পেনিশ প্রধানমন্ত্রী পেডরো স্যানচেজ বলেন, ভেনিজুয়েলায় পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। আমরা দেশটিতে আর কোনো রাজনৈতিক বন্দি দেখতে চাই না। জাপান সফরে থাকা জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সোমবার বলেন, গুইদো হচ্ছেন ভেনিজুয়েলার বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট।
ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক অবস্থান আরও জোরদার হচ্ছে।
চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানো হচ্ছে নওয়াজ শরিফকে
চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানের বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফকে। দেশটির ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে নওয়াজ চিকিৎসার নাম করে লন্ডন যাচ্ছেন বলে কথা উঠেছে। খবর দ্য ডনের। তবে সমালোচকদের এসব কথা সত্য নয় বলে দাবি করছে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। পাঞ্জাবের প্রদেশিক তথ্যমন্ত্রী ফায়াজুল হাসান চৌহান সোমবার রাতে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নওয়াজ শরিফের মেডিকেল রিপোর্ট বলছে- তিনি সুস্থ্য আছেন। অথচ তিনি চিকিৎসার কথা বলে লন্ডন যেতে চাচ্ছেন। তবে নওয়াজের পরিবারের দাবি, বিরোধীদলীয় এ নেতার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডন নেয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানের বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফকে। দেশটির ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে নওয়াজ চিকিৎসার নাম করে লন্ডন যাচ্ছেন বলে কথা উঠেছে। খবর দ্য ডনের। তবে সমালোচকদের এসব কথা সত্য নয় বলে দাবি করছে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। পাঞ্জাবের প্রদেশিক তথ্যমন্ত্রী ফায়াজুল হাসান চৌহান সোমবার রাতে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নওয়াজ শরিফের মেডিকেল রিপোর্ট বলছে- তিনি সুস্থ্য আছেন। অথচ তিনি চিকিৎসার কথা বলে লন্ডন যেতে চাচ্ছেন। তবে নওয়াজের পরিবারের দাবি, বিরোধীদলীয় এ নেতার কিডনিতে পাথর ধরা পড়েছে। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডন নেয়া প্রয়োজন।
বালকের নামের শেষাংশে ট্রাম্প থাকায়...
ষষ্ঠ শ্রেণির বালকটির নামের শেষের অংশে ট্রাম্প রয়েছে। আর তাতেই কিনা মানুষের উত্ত্যক্তের শিকার হতে হয়েছে তাকে।  সোমবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া আরও একডজন লোকের সঙ্গে তাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জোশুহা ট্রাম্প সম্পর্কে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত নিজের নামের শেষাংশের কারণে স্কুলে উত্ত্যক্তের শিকার হতে হয়েছে তাকে। এদিন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের অন্যান্য অতিথির মধ্যে ছিলেন কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের হাতে নিহত নাভাদার দম্পতি গেরাল্ড ও শ্যারন ডেভিডের পরিবারের সদস্যরা। অতিথিদের তালিকায় আরও ছিলেন আলিস মারিয়া জনশন। অসহিংস মাদক অপরাধের দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু রিয়ালিটি তারকা কিম কারদাশিয়ানের সুপারিশে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
ষষ্ঠ শ্রেণির বালকটির নামের শেষের অংশে ট্রাম্প রয়েছে। আর তাতেই কিনা মানুষের উত্ত্যক্তের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অক্ষুণ্ন রাখতে চাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষকদের একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বজায় রাখতে চাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কোনো সামরিক আঘাতে যাতে তা ধ্বংস না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করার পথ খুঁজছে দেশটি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক কমিটির ১৫ সদস্যের কাছে পাঠানো এ প্রতিবেদন সোমবার দেখার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চলতি মাসের শেষ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠককে সমানে রেখে নিরাপত্তা পরিষদের এ প্রতিবেদনটি দেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরে গত বছরের জুনে দুই নেতার প্রথম বৈঠকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিম জং উন।  উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জমায়েতে বিমানবন্দরের মতো বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত অল্পসংখ্যক পরমাণু অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র জমায়েত ও নির্মাণ স্থানকে হামলা থেকে কার্যকরভাবে সুরক্ষায় তারা পরীক্ষা চালাচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, ডিপিআরকে তার সংযোজন, গুদাম ও পরীক্ষার স্থানগুলো বিস্তৃত স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে এমন প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষকদের একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বজায় রাখতে চাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কোনো সামরিক আঘাতে যাতে তা ধ্বংস না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করার পথ খুঁজছে দেশটি।
‘ব্যবসা-বাণিজ্যে ইউরোপের মুখাপেক্ষী নয় ইরান’
বৈদেশিক লেনদেন বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ইরান ইউরোপের দিকে তাকিয়ে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যিক লেনদেনের লক্ষ্যে যে বিশেষ ব্যবস্থা তৈরির কথা বলা হয়েছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তেহরান। এটি ইউরোপিয়ানদের আন্তরিকতা প্রদর্শনের পরীক্ষা বলেও তিনি মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলুর। ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক কমিশনের বৈঠক শেষে ড. জারিফ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ানরা ‘ইনসটেক্স’ নামের যে বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, তা অনেক আগেই চালু করার কথা ছিল; কিন্তু আমেরিকার চাপে বিষয়টিতে গড়িমসি করেছে ইউরোপ। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের পরমাণু সমঝোতা রক্ষার লক্ষ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইরান ওই সমঝোতায় নিজের দেয়া সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেও পশ্চিমা দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে পাস কাটিয়ে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন করার জন্য গত ৩১ জানুয়ারি বিশেষ আর্থিক ব্যবস্থা ইনসটেক্স চালু করার কথা ঘোষণা করে।
বৈদেশিক লেনদেন বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ইরান ইউরোপের দিকে তাকিয়ে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যিক লেনদেনের লক্ষ্যে যে বিশেষ ব্যবস্থা তৈরির কথা বলা হয়েছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তেহরান। এটি ইউরোপিয়ানদের আন্তরিকতা প্রদর্শনের পরীক্ষা বলেও তিনি মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলুর। ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক কমিশনের বৈঠক শেষে ড. জারিফ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ানরা ‘ইনসটেক্স’ নামের যে বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, তা অনেক আগেই চালু করার কথা ছিল; কিন্তু আমেরিকার চাপে বিষয়টিতে গড়িমসি করেছে ইউরোপ। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশের পরমাণু সমঝোতা রক্ষার লক্ষ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ইরান ওই সমঝোতায় নিজের দেয়া সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেও পশ্চিমা দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে পাস কাটিয়ে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন করার জন্য গত ৩১ জানুয়ারি বিশেষ আর্থিক ব্যবস্থা ইনসটেক্স চালু করার কথা ঘোষণা করে।
‘ইরাকের মাটিতে বসে যুক্তরাষ্ট্রের ইরানে নজরদারির অনুমতি নেই’
ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ বলেছেন, ইরানের ওপর নজর রাখতে আমাদের মাটি ব্যবহারের অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। সোমবার তিনি যখন এমন কথা বললেন, তার একদিন আগে সিবিএস নিউজ চ্যানেলে ফেস দ্য নেশন প্রোগ্রামে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন- ইরানকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি বজায় রাখা জরুরি। কারণ ইরানই মূল সমস্যা। বাগদাদে একটি ফোরামের বৈঠকে বারহাম সালিহ বলেন, ইরাকে মার্কিন সেনা উপস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতিতে আমরা যারপরনাই বিস্মিত। আমাদের দেশে সেনা রেখে ইরানের ওপর নজর রাখতে ট্রাম্প কোনো অনুমতি নেননি।  ফেস দ্য নেশনে ট্রাম্প বলেন, তেহরানের ওপর ওয়াশিংটন যাতে নজর রাখতে পারে, সে জন্য ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জবাবে সালিহ বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে মার্কিন বাহিনীর একমাত্র মিশন হচ্ছে- সন্ত্রাসাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা; প্রতিবেশী ইরানকে পর্যবেক্ষণ করা না। ইরাকে মার্কিন সেনা সদস্যের সংখ্যা ও তাদের মিশনের ধরণ সম্পর্কে পরিষ্কার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় আছি আমরা। তিনি বলেন, মার্কিন বাহিনীর অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ করার অধিকার নেই। বিশেষ করে ইরানের ওপর নজরদারি। আমরা কখনই এমনটি অনুমোদন করব না। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতিতে মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে- ইরানের প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা।  তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার ইরানের সঙ্গে করা বহুপক্ষীয় পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাস্প সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। পরে তেহরানের ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছেন।  সোমবারের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরাকের আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে প্রচুর অর্থ খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ডিসেম্বরে তিনি ওই ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অংশে নজর রাখতে এটি খুবই উপযুক্ত অবস্থানে আছে। তিনি ইরানে হামলা চালাতে সক্ষমতা অর্জন বোঝাচ্ছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাহ! আমি চাই ইরানের ওপর নজর রাখতে। আমি যা কিছু চাচ্ছি, তা হচ্ছে- ইরানের ওপর নজর রাখা। তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির মধ্যে কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে ইরাক। ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর ইরাকে নিজের প্রভাব আর সম্প্রসারিত করেছে ইরান।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ বলেছেন, ইরানের ওপর নজর রাখতে আমাদের মাটি ব্যবহারের অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
প্যারিসে ভবনে আগুনে নিহত ৭, দগ্ধ ২৭
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৭ জন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সকালে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি এ খবর দিয়েছে।   স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের একটি আবাসিক এলাকার ওই আটতলা ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।   ফায়ার সার্ভিসের একজন মুখপাত্র জানান, ভবনের আটতলার একটি কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পর তা সাততলায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাতজন নিহত হন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।   দগ্ধ ২৭ জনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মী রয়েছেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন আরও ২৭ জন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সকালে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি এ খবর দিয়েছে।
ইসলামবিরোধী বই লিখতে গিয়ে মুসলিম হলেন ডাচ এমপি
ডাচ পার্লামেন্টের কট্টর ডানপন্থী সাবেক এমপি জোরাম ভ্যান ক্লাভেরেন (৩৯) ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছেন। ইসলামবিরোধী বই লিখতে গিয়ে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে শান্তির এ ধর্ম নিয়ে তার ভুল ভাঙে। খবর ডেইলি সাবাহর। হল্যান্ডে মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে কার্টুন ছাপানো নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। তখন থেকেই তিনি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করতে থাকেন এবং ২০১৮ সালের নভেম্বরে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। গত সোমবার তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করেন। ভ্যান ক্লাভেরেন দেশটির ফার-রাইট ফ্রিডম পার্টির (পিভিভি) এমপি হিসেবে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একই দলের আরেক সাবেক এমপি আর্নড ভ্যান ডোর্নের পদাঙ্ক অনুসরণ করেণ। ডোর্নও ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। এর আগে হল্যান্ডের কট্টর ডানপন্থী নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্স পার্লামেন্টে ইসলামবিরোধী ও বিতর্কিত কার্টুনের পক্ষে সাফাই গাইলে ওই দুই এমপি এর জোরালো প্রতিবাদ করেন। পরে ইসলাম সম্পর্কে জানতে তারা ব্যাপক পড়াশোনা করেন এবং পরে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন।
ডাচ পার্লামেন্টের কট্টর ডানপন্থী সাবেক এমপি জোরাম ভ্যান ক্লাভেরেন (৩৯) ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছেন। ইসলামবিরোধী বই লিখতে গিয়ে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে শান্তির এ ধর্ম নিয়ে তার ভুল ভাঙে। খবর ডেইলি সাবাহর। হল্যান্ডে মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে কার্টুন ছাপানো নিয়ে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। তখন থেকেই তিনি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করতে থাকেন এবং ২০১৮ সালের নভেম্বরে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। গত সোমবার তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করেন। ভ্যান ক্লাভেরেন দেশটির ফার-রাইট ফ্রিডম পার্টির (পিভিভি) এমপি হিসেবে ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পার্লামেন্টে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একই দলের আরেক সাবেক এমপি আর্নড ভ্যান ডোর্নের পদাঙ্ক অনুসরণ করেণ। ডোর্নও ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। এর আগে হল্যান্ডের কট্টর ডানপন্থী নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্স পার্লামেন্টে ইসলামবিরোধী ও বিতর্কিত কার্টুনের পক্ষে সাফাই গাইলে ওই দুই এমপি এর জোরালো প্রতিবাদ করেন। পরে ইসলাম সম্পর্কে জানতে তারা ব্যাপক পড়াশোনা করেন এবং পরে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন।
মেক্সিকো সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র আরও ৩৭৫০ সেনা পাঠাচ্ছে
চোরাকারবারি ও শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত তিন হাজার ৭৫০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী তিন মাস দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে এসব সেনা  সীমান্তরক্ষীদের সহযোগিতা করবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন থেকে রোববার এ নির্দেশ দেয়া হয়।  খবর সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর। অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ফলে ওই সীমান্তে মার্কিন মোট সেনাসদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে চার হাজার ৩৫০ জন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তকে একটি সংকট হিসেবে দেখেন। তিনি তার বার্ষিক স্টেট অব দি ইউনিয়নে ওই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এ ছাড়া সম্প্রতি মার্কিন সরকার পরিচালনায় যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, তার মূলে ছিল মেক্সিকো সীমান্তে তার বহুল আলোচিত দেয়াল নির্মাণ। তিনি দেয়াল নির্মাণকে বাদ রেখে অন্তর্বর্তী সংকট সমাধানে বাজেট প্রণয়নে বা অর্থ পাওয়ার বিষয় মেনে নিতে পারছিলেন না।
চোরাকারবারি ও শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত তিন হাজার ৭৫০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী তিন মাস দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে এসব সেনা সীমান্তরক্ষীদের সহযোগিতা করবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন থেকে রোববার এ নির্দেশ দেয়া হয়। খবর সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর। অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ফলে ওই সীমান্তে মার্কিন মোট সেনাসদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে চার হাজার ৩৫০ জন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তকে একটি সংকট হিসেবে দেখেন। তিনি তার বার্ষিক স্টেট অব দি ইউনিয়নে ওই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এ ছাড়া সম্প্রতি মার্কিন সরকার পরিচালনায় যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, তার মূলে ছিল মেক্সিকো সীমান্তে তার বহুল আলোচিত দেয়াল নির্মাণ।
বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনকে দুদকের চিঠি
অর্থপাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডকুমেন্ট চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) আবু হোসেনকে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সভাপতি বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে দুদক। কয়েকটি বিষয়ে কাগজপত্র চেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চাহিদা মোতাবেক নথিপত্র সরবরাহ করা হবে। তিনি বলেন, ৭/৮টি বিষয়ে বাফুফের কাছে জানতে চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এর মধ্যে অন্যতম তিন বছর আগে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন নেপালকে প্রাইজমানি দিতে কেন বিলম্ব হয়েছিল? সলিডারিটি কাপ না খেলায় এএফসির করা জরিমানার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। ফিফার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটারের ঢাকা সফরের খরচের হিসাব চেয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় দলের সাবেক দুই কোচ নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ ও রেনে কোস্টারের পাওনা নিয়ে সৃষ্ট ঝামেলা নিয়েও জানতে চেয়েছে দুদক। ২০১৬ সালে এএফসি সলিডারিটি কাপে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। এ কারণে বাফুফেকে ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুণতে হয়। একই বছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় নেপাল। ফাইনালে বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ৩-০ গোলে হারায় হিমালয়ের কন্যারা। চ্যাম্পিয়নদের প্রাইজমানি ছিল ৫০ হাজার ডলার। নগদ দেয়া হয় ২৫ হাজার ডলার। তবে বাকি অর্থ দিতে বিলম্ব করে দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অর্থপাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডকুমেন্ট চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) আবু হোসেনকে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাসকিনের বিকল্প শফিউল-এবাদত
বিপিএল শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে বাংলাদেশ। ফাইনালের পর পরই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে বিমানে চড়বেন টাইগাররা। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলবেন তারা। সেই সফরে স্কোয়াডে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে গেল ১ ফেব্রুয়ারি সিলেট সিক্সার্সের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সময় পায়ে চোট পান সাতকিন। সেটি এতটাই গুরুতর যে, নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই ছিটকে গেছেন টাইগার স্পিডস্টার। তার বিকল্প হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন শফিউল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।  সূত্র জানায়, তাসকিন চোটে পড়ায় বিকল্প হিসেবে তিনজনের নাম উঠেছিল- শফিউল, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত। এর মধ্যে শফিউলকে পছন্দ করেন দুই নির্বাচক। তবে কোচ স্টিভ রোডসের পছন্দ এবাদতকে। ফলে নিরুপায় হয়ে দুজনকেই রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় এবাদত। তবে তাকে ওয়ানডে সিরিজ নয়, টেস্ট খেলাতে চান রোডস। কিন্তু তরুণ পেসারকে ওয়ানডে দলে রাখতে চান তিনি। উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবহটা বোঝানো। অবশ্য একজন বোলারকে টেস্ট খেলানো হবে বলে তাকে ওয়ানডে দলে রাখতে হবে। কোচের এ যুক্তির বিপক্ষে ছিলেন নির্বাচকরা। স্কিল, অভিজ্ঞতায় এবাদতের চেয়ে অনেক এগিয়ে শফিউল। এ ছাড়া চেয়েছেন নির্বাচকরাও। তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাসকিনের জায়গায় এ পেসারকেই বেছে নিয়েছে বিসিবি। এবারের বিপিএলে ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর রোডসের চাওয়া মেনে টেস্ট সিরিজের দলে ঠাঁই পেয়েছেন এবাদত। নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাঈম হাসান ও শফিউল ইসলাম। নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
বিপিএল শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে বাংলাদেশ। ফাইনালের পর পরই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে বিমানে চড়বেন টাইগাররা। সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলবেন তারা।
বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না স্মিথের!
কনুইয়ের ইনজুরি নিয়ে বিপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে গেছেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরেই ছুরি-কাঁচির নিচে গিয়েছেন তিনি। পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। ফলে বিশ্বকাপে খেলা নাও হতে পারে তার। সামনে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। পরপরই অ্যাশেজ সিরিজ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নাকি (সিএ) চাচ্ছে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংলিশদের বিপক্ষে অ্যাশেজে স্মিথকে সুস্থ ও সতেজ পেতে বিশ্বকাপে না খেলাতে। বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে এক বছর আন্তর্জাতিক ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ স্মিথ। ২৯ মার্চ তার ওপরে থাকা নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। তবে তাড়াহুড়ো করে তাকে মাঠে ফেরাতে চাচ্ছে না সিএ। অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার বললেন, হুট করে স্মিথকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। প্রথমে তার চোটের অবস্থা দেখতে হবে। আগে বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ছন্দে ফিরতে হবে। সব কিছুই ম্যানেজমেন্টের অংশ। সামনে ব্যস্ত সূচি। বিশ্বকাপ ছাড়া অ্যাশেজ আছে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আছে। এ পরিস্থিতিতে দলের জন্য যেটা ভালো, সেটা করতে হবে। কানে এসেছে স্মিথকে বিশ্বকাপে না খেলিয়ে একেবারে অ্যাশেজের জন্য প্রস্তুত করার কথা ভাবছে অস্ট্রেলীয় বোর্ড। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপের সময় তাকে দেখা যেতে পারে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে। এমনকি অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলের হয়ে খেলতে। সাবেক অধিনায়ককে নিয়ে একদমই ঝুঁকি নিতে নারাজ অজিরা।
কনুইয়ের ইনজুরি নিয়ে বিপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে গেছেন স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরেই ছুরি-কাঁচির নিচে গিয়েছেন তিনি। পুরোপুরি সেরে উঠতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। ফলে বিশ্বকাপে খেলা নাও হতে পারে তার।
বাংলাদেশ সিরিজে চোখ নিউজিল্যান্ডের
ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হেরেছেন স্বাগতিকরা। সেই তিক্ত স্মৃতি পেছনে ফেলে এখন বাংলাদেশ সিরিজে চোখ কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের। ধবলধোলাই হওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, যোগ্য দল হিসেবেই সিরিজ জিতেছে ভারত। সময়ের অন্যতম সেরা দল কোহলিরা। কদিন পর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। আসছে ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। সেই সিরিজে স্বরূপে ফেরাই লক্ষ্য ব্ল্যাক-ক্যাপসদের। কেন উইলিয়ামসন বলেন, এ গ্রীষ্মে আমাদের আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ আছে। তাতে আমরা কেমন করি, সেটি দেখতে চাই। ১৩ ফেব্রুয়ারি নেপিয়ারে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে হবে ১৬ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। সীমিত ওভারে সিরিজের পর তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে লড়বে দুদল। হ্যামিল্টনে ২৮ ফেব্রুয়ারি গড়াবে প্রথম টেস্ট। ৮ মার্চ ওয়েলিংটনে হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তৃতীয় ও সবশেষ টেস্টটি হবে ১৬ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে।
ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হেরেছেন স্বাগতিকরা। সেই তিক্ত স্মৃতি পেছনে ফেলে এখন বাংলাদেশ সিরিজে চোখ কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের।
ফের পয়েন্ট হারাল লিভারপুল, জমে গেল শিরোপা লড়াই
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফের পয়েন্ট হারাল লিভারপুল। গেল সপ্তাহে লেস্টারসিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেন অলরেডরা। এবার ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের সঙ্গে একই স্কোরলাইনে ড্র করল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এতে শিরোপার লড়াই জমে গেল। পর পর দুই ম্যাচে ড্র করায় শীর্ষস্থান অধিকারী লিভারপুলের সঙ্গে   দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়াল মাত্র ৩। সোমবার রাতে ওয়েস্টহামের মাঠে শুরুটা দারুণ করে লিভারপুল। লিড পেতেও সময় লাগেনি। তবে তা ছিল বিতর্কিত। ২২ মিনিটে অ্যাডাম লালানা বল বাড়ান সাইডলাইনে থাকা জেমস মিলনারকে। পরিষ্কার অফসাইডে ছিলেন তিনি। তবে লাইন্সম্যানের চোখ ফাঁকি দিয়ে ক্রস দেন সাদিও মানেকে। ডি-বক্সের বাইরে তা ধরে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে নিশানাভেদ করেন সেনেগালিজ মিডফিল্ডার। ৬ মিনিট পর অনন্য এক গোলে সমতায় ফেরে ওয়েস্টহাম। ফেলিপে আন্দেরসনের বুদ্ধিদীপ্ত পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে বল ঠিকানায় পাঠান মিশাইল আন্তোনিও। ৬২ মিনিটে ডি-বক্সে এক ঝটকায় দুজনকে ফাঁকি দেন মোহামেদ সালাহ। তবে দুর্বল শটে সুযোগটা নষ্ট করেন তিনি। ১০ মিনিট পর মার্ক নোবেলের শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় লিভারপুল। বাকি সময়ে আর কেউ গোল আদায় করতে পারেনি। ২৫ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিভারপুল। ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। এ অবস্থায় বুধবার এভারটনের বিপক্ষে জিতলে চূড়ায় চলে যাবে ম্যানসিটি। তৃতীয় স্থানে থাকা টটেনহামও শিরোপা জেতার দাবিদার। টানা তিন জয়ে ৫ পয়েন্ট পেছনে আছে লিভারপুলের। স্পার্সদের সংগ্রহ ৫৭ পয়েন্ট। বাকি ম্যাচে জয় পেলে হুঙ্কার ছুড়বে তারাও।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফের পয়েন্ট হারাল লিভারপুল। গেল সপ্তাহে লেস্টারসিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেন অলরেডরা। এবার ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের সঙ্গে একই স্কোরলাইনে ড্র করল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
তাহলে কি মিলল সেই নিখোঁজ সালা?
গত ২১ জানুয়ারি ফরাসি ক্লাব নতেঁ থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল কার্ডিফ সিটিতে যোগ দিতে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পথে ইংলিশ চ্যানেলে নিখোঁজ হয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো সালাকে বহনকারী বিমান।   তিন দিন অনুসন্ধানের পর কর্তৃপক্ষ হাল ছেড়ে দেয়ায় মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নিখোঁজ সেই বিমানের উদ্ধার অভিযান। এর পর ব্যক্তিউদ্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করে সালার পরিবার। নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরুর সময়ও ক্ষীণ আশা ছিল হয়তো বেঁচে আছেন সালা।  কিন্তু সবার সব চেষ্টা ও প্রার্থনা শেষ পর্যন্ত বিফলে গেল। প্রায় দুই সপ্তাহ খোঁজ করার পর অবশেষে ফ্রান্সের কাছাকাছি ইংলিশ চ্যানেলের একটি দ্বীপে সালা ও তার পাইলট ডেভিড ইবোটসনকে নিয়ে নিখোঁজ হওয়া সেই বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।  দেখা মিলেছে একটি মৃতদেহেরও। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই মৃতদেহ কি সালার নাকি পাইলটের।  তবে ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেল বিমান দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছেন সালা ও ইবোটসন।  রোববার বিমানটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা হয়। সালার পরিবারের অর্থায়নে নিয়োজিত অনুসন্ধানকারী দলের এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে। ইংলিশ চ্যানেলের দুর্গম দ্বীপ গার্নসি থেকে ফেরার পর ওই দলের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান বিশেষজ্ঞ ডেভিড মির্নস বলেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি সালা ও পাইলট ইবোটসনের পরিবারকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে একটি মৃতদেহও। মির্নস বলেন, ‘অবিরাম অনুসন্ধানের পর আমরা এই সর্বোচ্চ ফলই দিতে পারলাম সালা ও ডেভিডের স্বজনদের।’ এ বিষয়ে ব্রিটিশ এয়ার অ্যাক্সিডেন্টস ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ (এএআইবি) জানায়, বিমানটি গার্নসি দিয়ে ওড়ার সময়ই জরুরি অবতরণের জন্য অনুমতি চায়। এর পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।  তখন সেটি প্রায় আড়াই হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল। ব্রিটিশ সরকার প্রায় তিন দিন অনুসন্ধান চালিয়ে কার্যক্রমের সমাপ্তি টানে। তবে ফুটবল অঙ্গনের শুভানুধ্যায়ী ও পরিচিতদের সহযোগিতায় সালার পরিবার অনুসন্ধানে নামায় মির্নসের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব আশার কোনো সংবাদ দিতে পারলেন না মির্নসরা।  এ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের সমবেদনা সালা ও ডেভিডের পরিবারের প্রতি। আরওভি (গভীর জলে পরিচালিত অনুসন্ধান যন্ত্র) দিয়ে অভিযান চালিয়ে আমরা বিমানটির হদিস পেয়েছি।’
গত ২১ জানুয়ারি ফরাসি ক্লাব নতেঁ থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল কার্ডিফ সিটিতে যোগ দিতে ইংল্যান্ডে যাওয়ার পথে ইংলিশ চ্যানেলে নিখোঁজ হয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো সালাকে বহনকারী বিমান। তিন দিন অনুসন্ধানের পর কর্তৃপক্ষ হাল ছেড়ে দেয়ায় মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নিখোঁজ সেই বিমানের উদ্ধার অভিযান।
ফুটবলের দুই নক্ষত্রের জন্মদিন আজ
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫। পর্তুগালের সান্টো অ্যান্টোনিও শহর। মারিও ডোলোরেস দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান।  কী নাম রাখা যায়? আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ও অভিনেতা রোনাল্ড রিগানের ভক্ত নবজাতকের বাবা।  ব্যস, তার নামের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নামও রেখে দিলেন রোনাল্ডো। পুরো নাম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দোস সান্তোস অ্যাভেইরো। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে অনেক বড় হবে রোনাল্ড রিগানের মতো। হয়েছে ঠিকই, তবে প্রেসিডেন্ট কিংবা অভিনেতা নয়, তারকা ফুটবলার। আজ ৩৪তম জন্মদিন এ সুপারস্টারের। অন্যদিকে ফুটবলের আরেক নক্ষত্র পিএসজির ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নেইমারের ২৭তম জন্মদিন আজ। নেইমার দ্য সিলভা ১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলের সাও পাওলোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সিনিয়র নেইমার দ্য সিলভার নামের সঙ্গে মিল রেখেই তার নাম রাখা হয়।  তার বাবাও একজন সাবেক ফুটবলার এবং পরে  নেইমারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।  নেইমার তার বাবার ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, আমার বাবা আমার পাশেই থাকেন সেই ছোটবেলা থেকেই এবং তিনি সব কিছুর খেয়াল রাখেন। তিনিই আমার সবসময়ের সঙ্গী এবং আমার পরিবারের অন্যতম একজন।
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫। পর্তুগালের সান্টো অ্যান্টোনিও শহর। মারিও ডোলোরেস দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় ফুটফুটে এক পুত্রসন্তান।
বাণিজ্য মেলা বন্ধে বুধবার দোকান মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সময়সীমা না বাড়াতে এবং বাণিজ্য মেলা বন্ধসহ নানা দাবিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এদিন বেলা ১২টায় রাজধানীর মগবাজারের ক্যান্টন রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি যুগান্তরকে জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনৈতিক। এটা কোনোভাবেই আইনসম্মত না। কারণ পৃথিবীর কোনো দেশেই ৫ থেকে ৭ দিনের বেশি কোথাও আন্তর্জাতিক মেলা হয় না। তাই এই মেলার কোনো ভিত্তি নাই।  হেলাল উদ্দিন বলেন, যদি মাসব্যাপি বাণিজ্য মেলা করতেই হয় তবে ঢাকাবাসীকে জিম্মি করে নয় বরং ঢাকার বাইরে অন্য কোথাও মেলা করা উচিত।  তিনি বলেন, আমরা দেখি মেলা একমাস ব্যাপি হলেও পরে এই মেলার সময় বাড়ানো হয়। এটা কোনো দেশেই হয় না। তাই অবিলম্বে বাণিজ্য মেলা বন্ধ ও মেলার সময়সীমা না বাড়ানোর জন্য আমাদের দাবিসমূহ আগামীকাল তুলে ধরব।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সময়সীমা না বাড়াতে এবং বাণিজ্য মেলা বন্ধসহ নানা দাবিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
গয়েশ্বরের পুত্রবধূ নিপুণ রায় কারামুক্ত
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী নিতাই চন্দ্র রায় চৌধুরীর মেয়ে। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান বলেন, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার নয়াপল্টনের নাইটিংগেল মোড় এলাকা থেকে নিপুণ রায়কে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটনের গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগের দিন ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় নিপুণ রায়সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। সর্বশেষ মামলায় সোমবার জামিন পান নিপুণ রায়। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার মো. শাহজাহান জানান, সোমবার রাতে নিপুণ রায় চৌধুরীর জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসে। পরে তা যাচাই-বাছাই করে তাকে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মুক্তি দেয়া হয়। এর আগে গত বছরের ২২ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী।
জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা এখন চ্যালেঞ্জ: নাসিম
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমাদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হলো- সংসদের মাধ্যমে জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। এ ব্যাপারে কোনও ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি যদি এখনও জামায়াতকে ত্যাগ না করে, তাহলে তারা চিরদিনের জন্য রাজনীতির মাঠে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর তারা রাজনীতির মাঠে আসতে পারবে না।  মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।  বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, দেশের মানুষ যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করে যাচ্ছি। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করে অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে ভোট দিয়েছে।  তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশের রাজনীতি প্রায় বিরোধী দলশূন্য। এর জন্য একমাত্র দায়ি বিএনপি। জামায়াতে ইসলামীকে প্রশ্রয় দেয়ার কারণে বিএনপির এই অবস্থা মন্তব্য করে সাবেক মন্ত্রী নাসিম বলেন, বর্তমানে বিরোধী দলহীন রাজনীতির জন্য দায়ি বিএনপি নিজেই। সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াতকে প্রশ্রয় দেয়ায় তাদের এই অবস্থা। এবারের নির্বাচনে নারী-পুরুষ সবাই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। জামায়াতকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেয়ার কোনও সুযোগ নেই। বিএনপিকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, তারা জামায়াতের সঙ্গে আছে কিনা। না হলে তারা চিরদিনের জন্য আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, প্রথম যখন আমি পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে আসি, তখন বক্তব্য কীভাবে দিতে হবে তা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছেই শিখেছিলাম। তিনি একজন যোগ্য পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন। তাকে আমাদের অনুসরণ করতে হবে।  অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক জেনিফা ফেরদৌস প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আমাদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হলো- সংসদের মাধ্যমে জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা। এ ব্যাপারে কোনও ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি যদি এখনও জামায়াতকে ত্যাগ না করে, তাহলে তারা চিরদিনের জন্য রাজনীতির মাঠে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আর তারা রাজনীতির মাঠে আসতে পারবে না।
ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ছিল তেল-জলের মতো: আইনমন্ত্রী
ঐক্যফ্রন্টে বিভেদ নিয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ছিল তেল-জলের মতো। তাদের এজেন্ডা ছিল ব্যক্তিগত। যেহেতু তাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা নষ্ট হয়ে গেছে সেহেতু তারা পরস্পরের কথা শুনবে কেন। মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না নেয়া প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশে উন্নয়ন তারা চান না। তারা জানে জনগণ তাদের চায় না। তাই তারা একটা অছিলা খুঁজে নির্বাচন বর্জন করার চেষ্টা করেছে। তাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই ব্যাহত হবে না। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্যফ্রন্টে বিভেদ নিয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ছিল তেল-জলের মতো। তাদের এজেন্ডা ছিল ব্যক্তিগত। যেহেতু তাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা নষ্ট হয়ে গেছে সেহেতু তারা পরস্পরের কথা শুনবে কেন।
জাহালমের কারাভোগ দুঃখজনক: তথ্যমন্ত্রী
নির্দোষ হয়েও জাহালমের তিন বছর কারাভোগের ঘটনাকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।  মঙ্গলবার সচিবালয়ে নাটক পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষে মতবিনিময় সভায় ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, ডিরেক্টস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু প্রমুখ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুদক ইতিমধ্যে তাদের ভুল স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে তারা এটি নিয়ে তদন্ত করছে। দুদক একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। তারা সরকারের অধীন কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। একজন নির্দোষ মানুষ তিন বছর কারাভোগ করলেন, এ জন্য তারা যে তদন্ত করছে, তদন্তের মাধ্যমে যারা দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত, বিনা অপরাধে তিন বছর কারাভোগের পর গত রোববার রাত ১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান জাহালম। সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ২৬টি মামলা থেকে জাহালমকে একদিনের মধ্যেই অব্যাহতি দিয়ে রোববার সকালে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মূল আসামি আবু সালেকের বদলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়। ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই প্রাইভেট টিভি চ্যানেল হয়েছে। আমাদের দেশে ব্যাপক ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিকাশ ঘটেছে। পাশাপাশি নাটক নির্মাণেও বেশ উন্নতি হয়েছে। আমাদের দেশের নাট্য নির্মাতারা অত্যন্ত মানসম্পন্ন। একসময় পার্শ্ববর্তী দেশের মানুষ বাংলাদেশের নাটক দেখার জন্য বসে থাকত। অনেক চ্যানেল হওয়ায় দর্শকদের অসুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি সুবিধাও রয়েছে। দেশের নাটকগুলোর মান আরও উন্নত করার জন্য কাজ করতে হবে। নাটকের মান রক্ষা ও উন্নত করা অন্যতম বিষয়। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে বিজ্ঞাপন বানিয়ে বাংলাদেশে চালানো হয়, এতে আমাদের দেশের কলা-কুশলীরা সুযোগ পাচ্ছে না। আমাদের শিল্পীরা অনেক মেধাবী ও স্মার্ট। বিদেশি চ্যানেলগুলোতে অন্য দেশের বিজ্ঞাপন চালাতে তাদের সে দেশের অনুমতি নিতে হয় অথবা ট্যাক্স দিতে হয়।  তিনি বলেন, আমাদের দেশের ২০১৬ সালেও এ সংক্রান্ত আইন করা হয়েছে। সেটি অনেকেই অনুসরণ করেন না। ইতিমধ্যে এ আইন ব্যবহারে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোকে প্রাইয়োরিটি দিয়ে প্রথম দিকে সিরিয়াল অনুযায়ী সাজানোর বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। সেটি সরকারের সিদ্ধান্ত। সেটি আমরা অনুসরণ করব। এটি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
নির্দোষ হয়েও জাহালমের তিন বছর কারাভোগের ঘটনাকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
সুলতান মনসুরের আ’লীগে ফেরা নিয়ে যা বললেন কাদের
মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সুলতান মনসুরের আওয়ামী লীগে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সুলতান মনসুরকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করেনি।   আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।   প্রসঙ্গত, একাদশ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য সবাই শপথ নিলেও বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৮ নির্বাচিত সদস্য এখনও শপথ নেননি। তবে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত গণফোরাম নেতা সুলতান মনসুর শপথ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।   সুলতান মনসুর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি একসময় ডাকসুর ভিপি ছিলেন। পরে সংস্কারপন্থীর তকমা গায়ে নিয়ে দল থেকে দূরে সরে যান এ নেতা।   একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেন সুলতান মনসুর। পরে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট করে মৌলভীবাজার-২ থেকে জয়ী হন তিনি। কিছু দিন আগে তিনি আওয়ামী লীগে ফেরার আভাস দেন।       জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (সুলতান মনসুর) আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা এটি তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি তার নিজস্ব চিন্তা-ধারণা, এটি নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আর এ ধরনের (আওয়ামী লীগে ফেরা) কোনো প্রস্তাব আমি দিতে যাব কেন? তারও বিবেক আছে- রাজনীতি করে। কাজেই সে তার বিবেক থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা কেন তাকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করব।’   বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, মির্জা ফখরুল তার এলাকায় (বগুড়া-৭) যেখানে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে কতকাল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবেন সেটিও তো ভেবে দেখতে হবে। আমার তো মনে হয় তিনিও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। আর স্ট্রাটেজিক (কৌশলগত) কারণে পরে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বিএনপি।
মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সুলতান মনসুরের আওয়ামী লীগে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সুলতান মনসুরকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করেনি।
সুলতান মনসুরকে কেন আমরা প্রভাবিত করব: কাদের
দলে ফেরা কিংবা সংসদে শপথ নেয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সুলতান মনসুরকে আওয়ামী লীগ প্রভাবিত করেনি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, তিনি (সুলতান মোহাম্মদ মনসুর) আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা এটি তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আমরা কেন তাকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করব।   আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।   প্রসঙ্গত, একাদশ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য সবাই শপথ নিলেও বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৮ নির্বাচিত সদস্য এখনও শপথ নেননি। তবে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত গণফোরাম নেতা সুলতান মনসুর শপথ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।   সুলতান মনসুর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি একসময় ডাকসুর ভিপি ছিলেন। পরে সংস্কারপন্থীর তকমা গায়ে নিয়ে দল থেকে দূরে সরে যান এ নেতা।   একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেন সুলতান মনসুর। পরে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট করে মৌলভীবাজার-২ থেকে জয়ী হন তিনি। কিছু দিন আগে তিনি আওয়ামী লীগে ফেরার আভাস দেন।      জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (সুলতান মনসুর) আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা এটি তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি তার নিজস্ব চিন্তা-ধারণা, এটি নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আর এ ধরনের (আওয়ামী লীগে ফেরা) কোনো প্রস্তাব আমি দিতে যাব কেন? তারও বিবেক আছে- রাজনীতি করে। কাজেই সে তার বিবেক থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা কেন তাকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করব।’   বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, মির্জা ফখরুল তার এলাকায় (বগুড়া-৭) যেখানে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে কতকাল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবেন সেটিও তো ভেবে দেখতে হবে। আমার তো মনে হয় তিনিও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। আর স্ট্রাটেজিক (কৌশলগত) কারণে পরে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বিএনপি।
দলে ফেরা কিংবা সংসদে শপথ নেয়ার বিষয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সুলতান মনসুরকে আওয়ামী লীগ প্রভাবিত করেনি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, তিনি (সুলতান মোহাম্মদ মনসুর) আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা এটি তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আমরা কেন তাকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করব।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে ঢাকায় মিছিল
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।   মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।   এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগের দিন পুলিশ দিয়ে জনগণের ভোট লুট করিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রী তাদের পদক দিচ্ছেন। জাতি, জনগণ, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এটি শ্রেষ্ঠ তামাশা।   আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, দেশ এখন আদিম অন্ধকারে নিমজ্জিত। চারদিকে ভীতি ও শঙ্কা আসন গেড়ে বসেছে।   ভোট ডাকাতির নীলনকশা বাস্তবায়ন করতেই খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, দেশকে হাতের কব্জায় নিতেই মহাভোট ডাকাতির নির্বাচন করা হয়েছে। সে জন্যই খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে কয়েক মাস আগে মিথ্যা মামলায় আটক করে কারাগারে রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।   মিছিলে ঢাকা মহানগর যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আমার তো মনে হয় মির্জা ফখরুলও শপথ নেবেন: কাদের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।   আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল তার এলাকায় (বগুড়া-৭) যেখানে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে কতকাল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবেন, সেটিও তো ভেবে দেখতে হবে। আমার তো মনে হয় তিনিও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। আর স্ট্রাটেজিক (কৌশলগত) কারণে পরে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বিএনপি।   প্রসঙ্গত, একাদশ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য সবাই শপথ নিলেও বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৮ নির্বাচিত সদস্য এখনও শপথ নেননি। তবে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত গণফোরাম নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর শপথ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।   একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ টাকা খাইয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীদেরই টাকা দিতে পারি না। বিএনপিকে টাকা দেব কোন দুঃখে।   ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে গণজাগরণ ঘটেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সারা দেশে গণজাগরণ হয়েছে। বেশিরভাগ আসনে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে যাচ্ছি। সে অবস্থায় আমরা অন্যকে কেন ঘুষ দিতে যাব? এর কোনো দরকার আছে? এটি অপ্রয়োজনীয়।   বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিলেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে দলীয় প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেবে: কাদের
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিলেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে দলীয় প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।   আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডির  আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।   ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভেতরে ভেতরে ঠিকই প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা দলীয় প্রার্থী না দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলীয় লোকজনকেই দাঁড় করিয়ে দেবে।   উপজেলা নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দেব। এখানে শুধু তৃণমূল থেকে তিনজনের নাম চেয়েছি। এক থেকে তিনজনের বেশি নয়। আবার একজন বা দুজন বা তিনজনের নামও কেউ দিতে পারেন।   ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়নের বিষয়ে এখানে আমরা দেখব যে, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর রয়েছে কিনা। সেই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে কিনা, সেটিও দেখা হবে। যদি কোথাও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে, সেখানে আমরা জরিপের প্রতিবেদন অনুসরণ করব। কাজেই মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে সব কিছু পরখ করে দেখা হবে।   পোড় খাওয়ারাই মনোনয়ন পাবেন এমনটি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যখন সরকারে ছিলাম না, তখন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারাই (ত্যাগীরা) তো আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে। সুতরাং তাদের মনোনয়ন চাইতে কোনো দোষ নেই।   একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ টাকা খাইয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীদেরই টাকা দিতে পারি না। বিএনপিকে টাকা দেব কোন দুঃখে।   ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে গণজাগরণ ঘটেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সারা দেশে গণজাগরণ হয়েছে। বেশিরভাগ আসনে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে যাচ্ছি। সে অবস্থায় আমরা অন্যকে কেন ঘুষ দিতে যাব? এর কোনো দরকার আছে? এটি অপ্রয়োজনীয়।   বিএনপি মহাসচিবও স্থানীয় নেতাদের চাপে শেষ পর্যন্ত শপথ নেবেন এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল তার এলাকায় যেখানে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে তিনি কতকাল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবেন সেটিও তো ভেবে দেখতে হবে। আমার তো মনে হয় তিনিও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। স্ট্রাটেজিক কারণে পরে সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বিএনপি।   ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (সুলতান মনসুর) আওয়ামী লীগে ফিরছেন কিনা এটি তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি তার নিজস্ব চিন্তা-ধারণা, এটি নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আর এ ধরনের (আওয়ামী লীগে ফেরা) কোনো প্রস্তাব আমি দিতে যাব কেন? তারও বিবেক আছে- রাজনীতি করে। কাজেই সে তার বিবেক থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা কেন তাকে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করব।’
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিলেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে দলীয় প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ল এক বছর
মানহানির অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর বেড়েছে।   খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।   আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।   আদেশের পর বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, এর আগে হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে দুই মামলায় ছয় মাস করে জামিন দিয়েছিলেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন এক বছর করে বাড়িয়েছেন।   এর আগে গত ১৩ আগস্ট এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ৭ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত এ মানহানির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন।   মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। রায়হান ফারুকী নামে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মামলাটি করেন।   এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন গত বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করেন নড়াইলের আদালত। এর পর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত গত বছরের ১৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন।   ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকীর করা মামলায় ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত বছরের ৭ আগস্ট খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেন। এর পর খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে গত বছরের ১৪ আগস্ট আদালত তাকে ছয় মাসের জামিন দেন।   মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
মানহানির অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ এক বছর বেড়েছে।
যে কারণে বিএনপি ছাড়লেন আলী আসগর লবি
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি নিজের অসুস্থতার কথা জানান। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলা হলেও অনেকে বলছেন, সম্পদ রক্ষার জন্য আলী আসগর লবি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে তার পদত্যাগে খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।  গত ২৪ জানুয়ারি তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।  এ সময়ে এসে পদত্যাগ করার বিষয়ে বিএনপির এ নেতা এবং ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি অসুস্থ। গত ১০ বছর ধরে আমি কোনো কিছুতে নাই।’ আলী আসগর বলেন, থাইরয়েডের ক্যানসারের অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে নেই।  অন্য কোথাও যোগদান প্রসঙ্গে আলী আসগর জানান, আপাতত তিনি কোথাও যুক্ত হচ্ছেন না। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আলী আসগর লবি অনেক বেশি পরিচিত হয়ে ওঠেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া খুলনা-২ আসনে জিতে তিনি সাংসদ হন। সেই সময় ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল ‘হাওয়া ভবন’। বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখান থেকে দল পরিচালনা করতেন। লবি হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জরুরি অবস্থায় গ্রেফতারের পর আলী আসগর লবির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, স্থাবর-অস্থাবর অনেক সম্পদ এবং কয়েকটি গাড়িও জব্দ করে তৎকালীন সরকার। যার অনেক কিছুই এখনও তিনি ফিরে পাননি। খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ২০০৬ সালের পর থেকে ১৩ বছর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না লবি। তাই তার পদত্যাগের কারণে খুলনা বিএনপিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।  তবে একাদশ জাতীয় সংসদের বিএনপি ‘ভরাডুবির’ কারণে লবি পদত্যাগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি দল ছেড়েছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়েছিলেন। অনেক দিন দেশের বাইরেও ছিলেন। উনার ভক্তদের মুখ থেকেই শুনেছি, তিনি তার জব্দ করা সম্পদ রক্ষার জন্যই ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএনপি ছেড়েছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি নিজের অসুস্থতার কথা জানান।
জাহালমকে নিয়ে যা বলেছে বিএনপি
দুদক ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, সরকারের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে। দুদকের রাজনৈতিক ভূমিকা ও অন্যায় বিচারের কারণে নির্দোষ জাহালম তিন বছর কারাগারে সাজাভোগ করেছে। মিথ্যা আসামি বানিয়ে নির্দোষ যুবক জাহালমের কারাভোগ মূলত দেশের অপরাধমূলক প্রশাসনেরই ছবি। এ ঘটনায় দুদকের ভূমিকা ন্যক্কারজনক বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারের প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের মেশিনে পরিণত হয়েছে। দলটির অভিযোগ, দুদকই সরকারের নির্দেশে মিথ্যা মামলা করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করেছে। রিজভী বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার এক হাজার ৯২ দিন পর কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম। নির্দোষ জাহালম এতদিন কারাগারে ছিলেন শুধু আওয়ামী সরকারের ক্ষমতা আশ্রিত দুদকের রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে। তিনি বলেন, বর্তমান দুদকে আসীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের অত্যাচারী মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়। সে জন্য দুদক বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করতে গিয়ে বেপরোয়া অনাচারে লিপ্ত থেকে মনুষ্যত্বহীনতার ডালপালা বিস্তার করেছে। আর এতে নির্দোষ, নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষও তাদের করা মিথ্যা মামলার অমানবিকতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। দুদক উগ্রতা নিয়ে কাজ করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ভুয়া ভোটের সরকারের চাহিদা মেটাতে, গণতান্ত্রিক শক্তিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি করতে দুদক বর্তমানে উগ্রতা নিয়ে কাজ করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মীসহ নির্দোষ, নিরীহ যুবক জাহালম- সবাই একই রকম নির্বিচার মামলার ধারাবাহিকতাতেই কারাগারে আটক। তারা সবাই দুদকের উগ্রতার নির্মম শিকার। রিজভী দাবি করেন, এই দুদকের কারণেই আশকারা পেয়ে আজ দেশে ‘ক্রিমিনাল ইকোনমি’ পত্রপল্লবে বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। জাহালমের দীর্ঘদিন কারাভোগের ঘটনায় দুদকের ভূমিকা নজিরবিহীন ও  ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় দেশে একটি ‘ক্রিমিনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে’র ছবিই ভেসে ওঠে। দুদক সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। তিনি বলেন, এই দুদক আইনি নিয়মকানুন কিছুই না মেনে আওয়ামী সরকারের শীর্ষ ব্যক্তির নির্দেশেই দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রীকে আটকে রাখতে মামলা সাজিয়েছে। বিরোধী শক্তিকে দমন করতে আওয়ামী অবৈধ গোষ্ঠীর একটি হাতিয়ার হলো বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক সরকারের ১০ বছরের মেগা দুর্নীতি স্পর্শ করতে পারেনি অভিযোগ করে রিজভী বলেন, যদি করতেই পারত, তবে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও নেতা- যাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তারা আজকে প্রবল প্রতাপে দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াতে পারত না। দেশের বাইরে বেগমপল্লী ও সেকেন্ড হোম গড়ে উঠত না। নিউইয়র্কে মন্ত্রীপুত্রের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থাকত না। সাবেক অর্থমন্ত্রী চার হাজার কোটি টাকা চুরিকে দুর্নীতি বলতে নারাজ হতেন না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, নজমুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
দুদক ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, সরকারের সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে। দুদকের রাজনৈতিক ভূমিকা ও অন্যায় বিচারের কারণে নির্দোষ জাহালম তিন বছর কারাগারে সাজাভোগ করেছে। মিথ্যা আসামি বানিয়ে নির্দোষ যুবক জাহালমের কারাভোগ মূলত দেশের অপরাধমূলক প্রশাসনেরই ছবি। এ ঘটনায় দুদকের ভূমিকা ন্যক্কারজনক বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
পূবাইলে ক্রিসেন্ট কেমিক্যাল কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পূবাইলে ক্রিসেন্ট কেমিক্যাল কারখানায় লাগা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কমান্ডার মানিকুজ্জামান। মানিকুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় । রিজার্ভ গ্যাস সিলিন্ডারের তিনটি ১০০ লিটার বোতল পর পর বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান তিনি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার পূবাইল থানা জিএমপির করমতলা ক্রিসেন্ট কেমিক্যাল কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পূবাইলে ক্রিসেন্ট কেমিক্যাল কারখানায় লাগা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস।
দুর্ব্যবহার করায় দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যা করল কেয়ারটেকার
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গবাদিপশুর খামারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মো. নজরুল ইসলাম (৬৫) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমকে (৫৫) গলা কেটে হত্যার ১০ দিনের মাথায় ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকারী ওই খামারের কেয়ারটেকার আব্দুল রাজ্জাককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন বিকালে গ্রেফতার ওই কেয়ারটেকার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নেপথ্য তুলে ধরে নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়েছে। কেয়ারটেকার আব্দুল রাজ্জাক (৪০) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে বলে জানায় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতের কাছে কেয়ারটেকার তার জবানবন্দিতে জানান, ভেড়া ও গরুর এই খামার প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি এই খামারে কর্মরত। খামারের মালিক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাদের ছেলেরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। ঠিকমতো বেতন প্রদান করতেন না। রোগে আক্রান্ত হয়ে খামারের কোনো ভেড়া মারা গেলে ভেড়ার দাম বেতনের অংশ থেকে কেটে নিতেন। ছুটি চেয়ে বাড়ি যেতে চাইলে তারা ছুটিও দিতেন না। ছোটখাটো দোষত্রুটি পেলে মারধর করতেন। কেয়ারটেকার জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দিন ২৬ জানুয়ারি রাতে খামারের মালিক নজরুল ইসলামের কাছে ৭দিন ছুটি চেয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য বললে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। তাও সহ্য করে তিনি কিছুই বলেননি। ওই রাতে খামারের ভেড়ার পালে একটি ভেড়া অসুস্থ হয়ে পড়ে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় তিনি খামারের মালিকের ঘরে গিয়ে তাদের ডাক দেই। এ সময় খামারের মালিকের স্ত্রী সালমা বেগম ঘুম থেকে উঠে এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে লাঠির আঘাত করলে তিনি আর নিজে সংযত করতে না পেয়ে তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করেন। কেয়ারটেকার আদালতে আরও বলেন, স্ত্রীর চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে ছুটে আসেন খামার মালিক নজরুল ইসলাম। তিনি তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত দেখতে পেয়ে তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে (কেয়ারটেকার) আঘাত করলে আমি পাল্টা আঘাত করে তাকেও হত্যা করি। পরে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাদের গলা ও পায়ের রগ কেটে দেই। পরে কেয়ারটেকার আব্দুর রাজ্জাকের স্বীকারোক্তি জবাববন্দি রেকর্ড করে তাকে জেলহাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে হাজী আসলামের জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলা ভেড়ার খামারে গত ২৬ জানুয়ারি রাতের ওই হত্যাকাণ্ডের পর কেয়ারটেকার আব্দুর রাজ্জাকও দুই লাশের সঙ্গে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়েছিল। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। ওই ঘটনায় ২৮ জানুয়ারি ৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামি করা হয় কেয়ারটেকার আব্দুর রাজ্জাক, খামারের জমির মালিক হাজী আসলামের ছেলে সজল, তার বন্ধু সুজাত ও কাউয়াকে। কেয়ারটেকার আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশি হেফাজতে রেখে রংপুর মেডিকেল থেকে গত তিন দিন আগে সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা চলছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতালেই প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। এরপর মঙ্গলবার সৈয়দপুর হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেয়া হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রের্কড করা হয়।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গবাদিপশুর খামারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মো. নজরুল ইসলাম (৬৫) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমকে (৫৫) গলা কেটে হত্যার ১০ দিনের মাথায় ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী পুলিশ উদ্ধার করেছে।
পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত
সীমানাসংক্রান্ত জটিলতায় রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ এখানে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। এখন রাজশাহী বিভাগের মধ্যে পবা একমাত্র উপজেলা যেখানে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে নির্বাচন হচ্ছে না। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সঙ্গে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের মুরশইল ও কেচুয়াতৈল গ্রামের সীমানা নিয়ে জটিলতায় হাইকোর্টে রিট করেন এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু। এর প্রেক্ষিতে সোমবার শুনানি হলে নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পেয়ে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু। তিনি জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরেও তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। তখনও উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মীরদাহ মোসাম্মদ শাহনাজ পারভীন বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আমরা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ অবস্থায় মঙ্গলবার নির্বাচন স্থগিতসংক্রান্ত কাগজপত্র হাতে পেলাম। সেগুলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পবায় দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জামায়াতের নেতা মকবুল হোসেন। ওই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আশরাফুল হক তোতা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হন জামায়াতের খায়রুন নেছা। পরের বছর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু হলে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে এ নির্বাচন স্থগিত করে দেন হাইকোর্ট। এবারও এক বছরের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করা হলো। বর্তমানে পবায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খায়রুন নেছা।
সীমানাসংক্রান্ত জটিলতায় রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ এখানে ভোটগ্রহণের কথা ছিল।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর স্ত্রীর দাফন সম্পন্ন
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর স্ত্রী পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লুৎফন্নেছা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় পাবনার বেড়া বিবি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তার জানাজা শেষে বৃশালিকা গোরস্থানে মরহুমার দাফন সম্পন্ন হয়। মরহুমার জানাজায় রাকসু সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্টু, পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রানা প্রপাট্রিজ অ্যান্ড ডেভলপারর্সের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা, মাসপো গ্রুপের চেয়ারম্যান সনি বিশ্বাস, পাবনা জেলা, সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা, সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা, এ ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতারাসহ পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা শরিক হন। উল্লেখ্য, রোববার সকাল ১১টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিক ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছিলেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৬ জানুয়ারি রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, ৩ ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর স্ত্রী পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ লুৎফন্নেছা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভুয়া কর্মকর্তা!
এসএসসি পরীক্ষার হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পরিদর্শনে যাওয়া এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউনিয়নের সদরুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নাম সামছুদ্দোহা শাওন। সে পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়াজুড় ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের প্রবাসী আতাউর রহমানের ছেলে ও তাজপুর ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগরের ইউএনও মো. আনিছুর রহমান তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শাওনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। শাওন মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দয়ামীর ইউনিয়নের সদরুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে হল পরিদর্শন করতে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসমানীনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম শাওনের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে কেন্দ্র সচিবসহ আব্দুস সালাম শাওনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শাওন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভুয়া কর্মকর্তা হিসেবে নিজের দোষ স্বীকার করে। এ সময় শাওনের কাছ থেকে একটি ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কর্তৃক দুটি ভুয়া প্রত্যয়নপত্র, সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে ভুয়া তদন্ত রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সামছুদ্দোহা শাওনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।পরে শাওনকে জেলহাজতে পাঠানোর জন্য ওসমানীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত শাওন  হজরত শাহজালাল ফাজিল মাদ্রাসায় গিয়েও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা হল পরিদর্শন করে এবং বিভিন্ন সময় সে ভুয়া কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাওন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভুয়া কর্মকর্তা হিসেবে নিজের দোষ স্বীকার করেছে। তাকে জেলহাজতে পাঠানোর জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই ওসমানীনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পরিদর্শনে যাওয়া এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোনারগাঁয়ে দৈনিক যুগান্তরের বর্ষপূর্তি উদযাপন
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৈনিক যুগান্তরের ২০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। সোনারগাঁ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির, পিরোজপুর ইউপির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সনমান্দি ইউপির চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আবু নাইম ইকবাল, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার (সোনারগাঁ) ও স্বজন উপদেষ্টা আল আমিন তুষার, বৈদ্যোরবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব সরকার। অনুষ্ঠানে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ সোনারগাঁ শাখার সভাপতি দেওয়ান শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক হাসান মাহমুদ রিপন, শাহাদাত হোসেন রতন, যুগান্তর স্বজন সমাবেশ সোনারগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মহসীন, সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, হাবিবুর রহমান, আনিছুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, শামসুল আলম তুহিন, হারুনুর রশিদ, জাতীয় পার্টির নেতা হাজী জাবেদ রায়হান, মঞ্জুর মল্লিক হিরু, আলমগীর হোসেন প্লাবন, বারদী ইউপির সদস্য দাইয়ান মেম্বার, বিশিষ্ট সমাজসেবক আনোয়ার হোসেন আনু, রমজান আলী, হানজালা চিশতী, আলমগীর মেম্বার প্রমুখ।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৈনিক যুগান্তরের ২০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
ছাগলের গাড়ি চড়ে স্কুলে যাওয়া মেয়েটি এখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া। অভিনব ছাগলের গাড়িতে চড়ে স্কুলে যায় প্রতিদিন। ছবি, ভিডিও সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এটি পাঁচ বছর আগের ঘটনা। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সেই পুরনো সংবাদটি নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ছবি, ভিডিও সংবাদ। সেই ছাগলটি তিন বছর আগে কোরবানি দেয়া হয়েছে। আর ছোট শিশু জান্নাতুল মাওয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। পুরনো সংবাদ নতুন করে ভাইরাল হওয়ায় সেই ছাগলের গাড়ির মালিক সামাউল ইসলামও হতবাক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দৈনিক যুগান্তরে ‘অভিনব ছাগলের গাড়িতে চেয়ে ছোট্ট খুকির স্কুলে যাওয়া আসা’শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সামাউল ইসলাম। তিনি পেশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২০১৪ সালে প্রথম দিকে তার তৈরি ছাগলের গাড়ি ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে। গণমাধ্যমেও ছবি ও ভিডিও নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাঁচ বছর সম্প্রতি সেই ছাগলের গাড়িতে চড়ে মেয়ের স্কুলে যাওয়ার ছবি ও ভিডিওসংবলিত সংবাদ কিছু কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। পুরনো সংবাদ নতুন করে প্রকাশ করায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সামাউল ইসলাম বলেন, পাঁচ বছর আগের পুরনো ছবি, ভিডিওসংবলিত সংবাদ নতুন করে কিছু গণমাধ্যম প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। এটা বিব্রতকর। তিনি বলেন, এখন আর আমি গ্রামে থাকি না। উপজেলা সদরে বাড়ি করেছি। সেখানেই বসবাস করছি। আর সেই ছাগল তিন বছর আগে কোরবানি দিয়েছি। আমার মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। চৌগাছা উপজেলা সদরের শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। আমি নিজেও প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পেয়েছি। স্কুল বদলি হয়েছি।
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া। অভিনব ছাগলের গাড়িতে চড়ে স্কুলে যায় প্রতিদিন। ছবি, ভিডিও সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
রাজারহাটে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, আহত ৩
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রমনা-তিস্তাগামী ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিকিউরিটি কোম্পানির মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজারহাট বাজার ও রেলস্টেশনের অদূরে রাজারহাট হতে কুড়িগ্রাম যাওয়ার পথিমধ্যে লেভেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজারহাট হতে কুড়িগ্রাম যাওয়ার পথিমধ্যে লেভেল ক্রসিং এ দীর্ঘদিন ধরে বেরিয়ার থাকলেও গেটকিপার না থাকায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রামগামী একটি সিকিউরিটি কোম্পানির টাকা ডিস্ট্রিবিউশনের মাইক্রোবাসটি লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় তিস্তাগামী ট্রেন ৪১৫ আপ ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা আনিছুর রহমান আনিছ (৩০), আ. আলিম (৩২) ও আহসান হাবিব (৩২) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতদের সবার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায় বলে জানা গেছে। এদিকে লেভেল ক্রসিংয়ে গেটকিপার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা। রাজারহাট থানার ওসি কৃষ্ণ কুমার সরকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রমনা-তিস্তাগামী ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিকিউরিটি কোম্পানির মাইক্রোবাস দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মির্জাপুরে শ্বশুরবাড়িতে যুবকের আত্মহত্যা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মনিরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের বংশাই রোডে শ্বশুর কয়েদ আলীর বাসার তৃতীয়তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মনিরুল ইসলাম যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের আনোয়ার গাজীর ছেলে। তার স্ত্রী আইভি আক্তার সরকারি সাদত কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তবে তার স্বামী মনিরুল বেকার ছিলেন। মনিরুল ও আইভির সংসারে পাঁচ বছরের ছেলে মুসা ও পাঁচ মাস বয়সী আরিশা নামে কন্যা রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মির্জাপুরের বংশাই রোডে অবস্থিত শ্বশুর কয়েদ আলীর বাসার তৃতীয়তলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে নিচে নামেন। সকাল ৯টার দিকে বাসায় ফিরলে স্ত্রী তাকে নাশতা খাওয়ার জন্য বলেন। এ সময় মনিরুল পরে খাবেন বলে হঠাৎ তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় স্ত্রী আইভি ও শাশুড়ি দরজা খোলার চেষ্টা করেন। দরজা খুলতে না পেরে তারা চিৎকার করলে অন্য ভবনে কর্মরত শ্রমিকরা এসে স্টিলের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে মনিরুলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী আইভি আক্তার জানান, মনিরুল উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বেকার জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এ নিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। রাতে তার মা ও বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সকালে মনিরুলের যশোর যাওয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মনিরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের বংশাই রোডে শ্বশুর কয়েদ আলীর বাসার তৃতীয়তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
দামুড়হুদায় পরিত্যক্ত মোটরসাইকেলে মিলল ১২ কেজি রুপার গহনা
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি দামুড়হুদা উপজেলায় ১১ কেজি ৮০০ গ্রাম ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার রুপার গহনাসহ ১টি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার রুদ্রনগর ইটভাটার সামনে থেকে মোটরসাইকেলসহ এই রুপার গহনা পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির বিশেষ টহল কমান্ডার হাবিলদার শ্রী বীরেন্দ্র নাথ দত্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন ভারত থেকে রুপার গহনার একটি বড় চালান আসছে। তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দর্শনার রুদ্রনগর ইটভাটার সামনে ওত পেতে থাকে। সকাল ৮টার দিকে চোরাকারবারিরা রুদ্রনগর ইটভাটার কাছে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে একটি পালসার মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি মোটরসাইকেলে থাকা ১১ কেজি ৮০০ গ্রাম (১,০১১ ভরি) বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় রুপার গহনাসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ ১১ হাজার টাকা। রুপার গহনা এবং মোটরসাইকেল দর্শনা কাস্টমস অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি দামুড়হুদা উপজেলায় ১১ কেজি ৮০০ গ্রাম ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার রুপার গহনাসহ ১টি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।