title
stringlengths
10
148
text
stringlengths
14
34.6k
summary
stringlengths
1
7.08k
‘প্লাস্টিকের চাল’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন গাইবান্ধার ডিসি
গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের একটি দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া ‘প্লাস্টিকের চাল’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবদুল মতিন।  মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। সম্মেলনে জেলা প্রশাসক চাল সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন। মো. আবদুল মতিন বলেন, গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের একটি দোকান থেকে প্লাস্টিকের চাল সন্দেহবশত আটক করার পর তা প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় চাল ভিজে ও রান্না করে প্রতীয়মান হয়, চালের ভাত স্বাভাবিক চালের মতো। উদ্ধার করা চাল প্লাস্টিকের চাল নয়। এ চাল নিম্নমানের কিংবা ভেজাল হতে পারে।  এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানান তিনি। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জব্দ করা চাল প্লাস্টিকের কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ভোক্তা সংরক্ষণ ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসানা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. তোফায়েল হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. শওকত ওসমান, জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় প্রমুখ। এর আগে সোমবার গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ ‘প্লাস্টিকের চাল’ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করেন। জব্দ করা চাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে পাঠানো হয়।
গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের একটি দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া ‘প্লাস্টিকের চাল’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আবদুল মতিন।
লালমোহনে যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
ভোলার লালমোহনে দৈনিক যুগান্তরের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালমোহন প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একটি র‌্যালি পৌরশহর প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা সভায় লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, লালমোহন প্রেসক্লাব সভাপতি আবদুস সাত্তার, সহ-সভাপতি এসবি মিলন, মাহমুদ হাসান লিটন, সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি মো. জসিম জনি, সাংবাদিক মাও. আজিম উদ্দিন, শাহীন কুতুব, এনামুল হক রিংকু, সিরাজ মাসুদ, ফয়েজ ফ্যাশন, ইউসুফ আহমেদ, হাসান পিন্টু, শংকর মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার লালমোহনে দৈনিক যুগান্তরের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালমোহন প্রেসক্লাবে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একটি র‌্যালিপৌরশহর প্রদক্ষিণ করে।
ক্ষতিপূরণ চায় জাহালমের পারিবার
বিনা অপরাধে কাটানো হলো প্রায় তিন বছর কারাবাস। তিন বছর পর জাহালমকে কাছে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত হলেও কষ্টের শেষ নেই পরিবারের। বিগত তিন বছর সর্বস্ব বিক্রি করে ছেলেকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য কতই না মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে তার পরিবার। অন্যের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে ছেলের জন্য খরচ করলেও এ টাকা কে শোধ করবে? এখন তার চলার মতো কিছু নেই। নিঃস্ব জাহালমের পারিবার ক্ষতিপূরণ চায়। জাহালমের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার তিন মেয়ে তিন ছেলে। জাহালম আমার মেঝ ছেলে। সে লেখাপড়া জানে না। কীভাবে এত টাকা আত্মসাৎ করবে, আমার ছেলে বিনা অপরাধে তিন বছর জেল খাটছে। মনোয়ারা বেগন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের এত বড় ক্ষতি কেন করল ওরা। আমি তাদের শাস্তি চাই, অনেক দেরি করে হলেও আমার ছেলে আমার কাছে ফিরে এসেছে আমি এতে অনেক আনন্দিত। কিন্তু বিনা অপরাধে যে শাস্তি আমার ছেলে ভোগ করেছে এর বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, আজ আমরা নিঃস্ব আমাদের থাকার ঘর ছাড়া আর তো কিছুই নেই। প্রতিদিন পাওনাদাররা বাড়ি আসে তাদের টাকা ফেরত নেয়ার জন্য। আমরা তো সব কিছু হারিয়েছি এখন ক্ষতিপূরণ কে দেবে। সরকারের কাছে আমরা সহায়তার জোর দাবি জানাই। দীর্ঘ ৩ বছর কারাভোগের পর অবশেষে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছে জাহালম মিয়া (৩০)। রোববার রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবু ছালেকের বিরুদ্ধে সোনালি ব্যাংকে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটেন জাহালম। জাহালম নিরাপরাধ প্রমাণ হয়। তদন্ত করে একই মত দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দুদকের দায়ের করা অর্থ জালিয়াতি মামলায় ভুলবশত তাকে গ্রেফতার করে। জাহালম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে। সে তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। স্ত্রী কল্পনা ও সাত বছর বয়সী চাঁদনী নামের এক কন্যা নিয়ে তাদের ছিল ছোট সংসার। সংসার চালাতে বাংলাদেশ জুট মিলে কাজ নেয় জাহালম। ছালেক নামক ব্যক্তির সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলায় দুদক কর্মকর্তা সালেকের পরিবর্তে জাহালমকে আটক করে। মুক্তির পর জাহালম তার নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়ায় ফিরেছে। স্বজনরা তাকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন। এদিকে জাহালমকে দেখেতে আশপাশের শত শত জনতা এ সময় তার বাড়িতে ভিড় করে। মুক্তির পর মুক্ত বাতাসে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে আসে জাহালম। তিনি তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, স্বজনদের পেয়ে খুব ভালো লাগছে শান্তি লাগছে। পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার যন্ত্রণাও ভুলতে পারছি না। আমার একমাত্র শিশুকন্যার মুখে বাবা ডাক থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তিনি বলেন, আমার পরিবার আমাকে মুক্ত করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। আমার মা অন্যের বাড়ি কাজ করে আমার মুক্তির জন্য দ্বারে দ্বারে ধরনা দিয়েছে। আমি এর ক্ষতিপূরণ চাই। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করি।
বিনা অপরাধে কাটানো হলো প্রায় তিন বছর কারাবাস। তিন বছর পর জাহালমকে কাছে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত হলেও কষ্টের শেষ নেই পরিবারের।
‘নেতাদের ব্যর্থতায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যায়নি’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, বিএনপি জনপ্রিয় দল। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এরপরও আমাদের ব্যর্থতা গত এক বছরে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারিনি। তিনি বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তাই নেত্রীকে মুক্ত করতে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। তবে সবাইকে নেতা হলে চলবে না। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের ১৮তম দিনে মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া শহরের নবাববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত নির্বাচন-পরবর্তী অবস্থা পর্যবেক্ষণে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বগুড়া শহর যুবদলের সভাপতি মাসুদ রানা, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম ফারুক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, শহর বিএনপির সভাপতি মাহবুবর রহমান বকুল, তাহাউদ্দিন নাহিন, সহিদ-উন-নবী সালাম, জেলা যুবদল সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার, সাধারণ সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ্ মেহেদী হাসান হিমু, হাসানুজ্জামান পলাশ, মহিলা দলের নাজমা আকতার, মাহফুজা আকতার লাকী প্রমুখ। স্থানীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মিছিলে দাঁড়ানো নিয়ে, ছবি তোলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি হয়। তাই আমরা কীভাবে আন্দোলন গড়ে তুলব? বক্তারা কোনো কোনো নেতার নিষ্ক্রিয়তা ও অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সভাস্থল থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আগামীতে সম্মেলন ছাড়া কোনো কমিটি হবে না। কোনো কমিটি চাপিয়ে দেয়া হবে না। তৃণমূলের সমর্থনের প্রেক্ষিতে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে। আর সব সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে বিএনপি আগামী কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না। সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ যারা নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, আন্দোলনের সময় তাদের পাওয়া যায় না। সম্প্রতি মহাসচিব বগুড়ায় এলেও তাকে জানানো হয়নি। তিনি সব মতভেদ ভুলে দলকে চাঙ্গা করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। নেতাদের প্রেস ব্রিফিং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রেস বিফ্রিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেন, ভোট চোর সরকার ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে থাকা অবস্থায় দলের কোনো নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। তিনি বলেন, কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও তাকে বহিষ্কার করা হবে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার দুটি আসনসহ ৮ আসনে নির্বাচিত এমপিদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেউ শপথ নেবেন না। বুলু বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে রাখায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে জেলের তালা ভেঙে নেত্রীকে মুক্ত করা হবে। তবে তারা কবে থেকে আন্দোলন শুরু করবেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তিনি বলেন, সারা দেশে সাংগঠনিক সফর শেষে ঢাকা ফিরে নেতাদের পরিস্থিতি অবগত করা হবে। এরপর নির্বাহী কমিটির সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বগুড়ার নেতাকর্মীদের উত্তাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের নির্যাতনে শতশত নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ ও অনেকে জেলে রয়েছে। তাই স্থানীয় নেতাদের উত্তাপ আরও বেশি হওয়ার কথা ছিল। মতবিনিময় ও প্রেস বিফ্রিং শেষে নেতারা সিরাজগঞ্জের দিকে রওনা হন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, বিএনপি জনপ্রিয় দল। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এরপরও আমাদের ব্যর্থতা গত এক বছরে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারিনি।
ভোলায় যুগান্তর উৎসবে ছবি প্রদর্শনীতে পুরস্কার পেল ১৬ জন
যুগান্তরের বর্ষপূর্তি উৎসবে ভোলায় স্কুলশিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী শেষে সেরা ছবি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে তিন গ্রুপে ১৬ জন। এসব ছবি মঙ্গলবার পর্যন্ত ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়। জেলা স্বজন সমাবেশের সভাপতি পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজুর সভাপতিত্বে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম গোলদার, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সাবেক অধ্যক্ষ মু. রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ কিরণ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) জেলা সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ অপু। এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্যে তারা যুগান্তরের আরও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন ক গ্রপে ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জয় ব্যানার্জী, সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির বাঁধন মল্লিক, ওই স্কুলের কেজি শ্রেণির ইলমি, ক্রেয়েটিভ কিন্ডারগার্টেনের কেজি শ্রেণির সানিয়া, পৌর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আদর ঘোষ, বাপ্তা শক্তিসংঘ সরকারি প্রাথমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির প্রমিতা দাস। খ গ্রুপে পুরস্কার পেয়েছে ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির সৈয়দ সাদমান সফিক, ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির নির্ঝর দাস, ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির অদ্রি রায়, একই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির অথৈ ঘোষ, একই ক্লাসের রমা রায়। গ গ্রুপের পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির প্রাপ্ত কর্মকার, ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐশ্বরিয়া ঘোষ, মাইশা ও অর্পিতা মিত্র। অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলন, জেলা স্বজন সমাবেশের সহসভাপতি মো. ইলিয়াছ ,স্বজন সমাবেশের সাবেক সম্পাদক বিয়ে বাচার পরিচালক মনিরুল ইসলাম, বরগুনা জেলার  মানবাধিকার নেত্রী ডা. মনিরা, জেলা স্বজন সমাবেশের সহসভাপতি ধ্রুব হাওলাদার, কলেজশিক্ষক জাকির হোসেন, স্বজনের সাংগঠনিক সম্পাদক পুষ্পেন্দু মজুমদার, ভোলা সরকারি কলেজ শাখার স্বজন সম্পাদক বাপন রায়, ফাতেমা খানম কলেজ স্বজন সভাপতি খালেদ মোশারফ, কলেজশিক্ষক মো. রুবেল, স্বজন সদস্য সজল, হৃদয় দে, ওবায়েদ হোসেন, শিবলু দাস, নাছির উদ্দিন, সজল মহাজন, বিজন বাইন, সমীর ব্যনার্জি, ফজলে আলম কিসলু প্রমুখ।
যুগান্তরের বর্ষপূর্তি উৎসবে ভোলায় স্কুলশিক্ষার্থীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী শেষে সেরা ছবি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে তিন গ্রুপে ১৬ জন। এসব ছবি মঙ্গলবার পর্যন্ত ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়।
বেনাপোলে ১৭টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক
ভারতে পাচারের সময় যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ১৭টি স্বর্ণের বারসহ এক স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত থেকে স্বর্ণসহ তাকে আটক করা হয়। আটক স্বর্ণ পাচারকারী শাহাবুদ্দিন সরদার বেনাপোল পুটখালী গ্রামের মোবারক সরদারের ছেলে। খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরাম উল্লাহ সরকার জানান, বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা পুটখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১টি মোটরসাইকেলসহ পাচারকারীকে আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ১৭টি স্বর্ণের বার জব্দ করে। জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য ৯০ লাখ টাকা বলে বিজিবি জানায়। আটককৃতকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানায়। অন্যদিকে পুটখালী বিজিবি সদস্যরা একই সীমান্ত থেকে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৮৬ বোতল ফেনিসিডিলসহ ৯ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। আটককৃতদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হযেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানায়।
ভারতে পাচারের সময় যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ১৭টি স্বর্ণের বারসহ এক স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রী জেসমিন আক্তার আঁখিকে (২৩) হত্যার দায়ে জিসান চৌধুরী জিকু (২৮) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিকু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নিউ মৌড়াইল মহল্লার মো. ছানাউল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তবে জিকু পলাতক রয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত আঁখি ঢাকার ডেমরা এলাকার মুসলিম মুন্সির মেয়ে। পরকীয়ার অভিযোগে গত ২০১৩ সালের ২৭ আগস্ট দুপুরে স্বামী জিসান চৌধুরী জিকু তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে জিকু নিজেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশকে ফোন করে হত্যার কথা জানান। এ ঘটনায় ওইদিনই আঁখির বাবা বাদী হয়ে জিকু বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে তিনি আদালতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে মামলায় জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন জিকু। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবদুল্লাহ আল মাসুম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রী জেসমিন আক্তার আঁখিকে (২৩) হত্যার দায়ে জিসান চৌধুরী জিকু (২৮) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কলেজের কক্ষে ঢুকে ছাত্রীকে প্রেমিকের মারধর, অতঃপর...
বরগুনার পাথরঘাটা কলেজের অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে সেই মারধর করা প্রেমিক পার্থ রায়ের সঙ্গে। সোমবার রাতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে ওই মেয়ের বিয়ে হয়।  এর আগে সোমবার পাথরঘাটা কলেজের অনার্স ভবনের একটি কক্ষে সকাল ১০টার দিকে নিয়ে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি এবং মারধর করার অভিযোগে পার্থ রায়কে (২১) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে স্থানীয় পর্যায় অভিভাবকদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সোমবার বিকালে পাথরঘাটা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অরুণ কর্মকারের নেতৃত্বে পাথরঘাটা থানা থেকে শিক্ষার্থী ও পার্থ রায়কে নিয়ে আসেন। পরে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় রাধা গোবিন্দ মন্দিরে বসে বিয়ে সম্পন্ন হয়। জানা গেছে, প্রথমে মেয়ের বাবা রাজি না হলেও পরে বিয়েতে রাজি করানো হয়।  অরুণ কর্মকার জানান, (পার্থ ও তমার) দুজনে মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিতে তাদের বিয়ে দেয়া হয়েছে।  এ ব্যপারে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. হানিফ শিকদার বলেন, বিষয়টি অভিভাবক পর্যায়ে সমাধান হয়ে গেছে। মেয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বরগুনার পাথরঘাটা কলেজের অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে সেই মারধর করা প্রেমিক পার্থ রায়ের সঙ্গে। সোমবার রাতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে ওই মেয়ের বিয়ে হয়।
হল থেকে মেসেঞ্জারে প্রশ্ন পাঠাতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী আটক
পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর সময় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই কক্ষের তিন পর্যবেক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটক শিক্ষার্থীর নাম রিফাদ উদ্দীন। সে মির্জাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অনিয়মিত ছাত্র। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতো হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনের সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার কাটিরহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। পরিদর্শনের সময় ওই কেন্দ্রের ৩৪ নম্বর কক্ষে অনিয়মিত ছাত্ররা ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছিল। এ সময় ওই কক্ষে রিফাদ উদ্দীন প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাইরে পাঠানোর সময় ম্যাজিস্টেটরা তাকে হাতেনাতে আটক করেন। সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয় এবং ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। এ সময় অন্য ছাত্রদের তল্লাশি করে আরও ৬টি ফোন জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমীন যুগান্তরকে জানান, আমি আর ভূমি সহকারী কমিশনার ওই কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাই। এ সময় রিফাত উদ্দীন ডাটা চালু করে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কাউকে পাঠানোর সময় তাকে আটক করি। ভাগ্যিস আমরা ওই মুহূর্তে কেন্দ্রে পৌঁছি। না হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতো। তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক কক্ষের সবাইকে তল্লাশি করে ৬ পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাদের কাছে প্রশ্নফাঁস কিংবা প্রশ্নের ছবি পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ৩ কক্ষ পরিদর্শক ছিপাতলী গাউছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইউসুফ আলি, গুমানমর্দ্দন ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আব্দুল জলিল ও ধলই গাউছিয়া মুনিরীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. শফিউল আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের সচিব ও কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকসুদ আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।
পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর সময় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
ডা. আকাশের স্ত্রী মিতু ‘ব্যভিচার’এ জড়িত কিনা তদন্তের নির্দেশ
চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করা তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী মিতু ও অন্য আসামিরা ‘ব্যভিচার’এর অপরাধে জড়িত কিনা সেটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  এদিকে সোমবার মিতুর বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশনামায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান উল্লেখ করেন- চট্টগ্রামে তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ‘ব্যভিচারের’ অপরাধের ধারা যুক্ত নেই।  তবে তিনি আকাশের স্ত্রী তানজিনা হক চৌধুরী মিতু ও অন্য আসামিরা উক্ত অপরাধে জড়িত কিনা সেটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।  রিমান্ডের আদেশনামায় বলা হয়, ‘উভয়পক্ষের বিজ্ঞ কৌঁসুলিদের বক্তব্য, কেইস ডকেট, রিমান্ড আবেদন ও নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মামলার আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে ‘এক্সট্রা মেরিটাল অ্যাফেয়ারস’ সহ বিভিন্ন পরপুরুষের সঙ্গে ব্যভিচারের অভিযোগ রয়েছে। উক্ত বিষয় নিয়ে ভিকটিম মৃত ডা. আকাশ এবং আসামির মধ্যে দাম্পত্য অশান্তি বিরাজমান ছিল।’ এতে আরও বলা হয় ‘মামলার ভিকটিম আকাশের মৃত্যু সংক্রান্তে আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর কোনোরূপ উসকানি ছিল কিনা কিংবা ভিকটিমের মৃত্যুর আগে আসামিকে তার বাবার কাছে হস্তান্তরের আগে এমন কোনো উসকানি, কথাবার্তা, আচার-আচরণ বা কর্ম করেছেন কিনা যাতে ভিকটিম তার জীবননাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হয়েছে। উক্ত বিষয়সমূহ তদন্তের দাবি রাখে।’ আদালতের আদেশে বলা হয়, ‘তাছাড়া উক্ত মামলার ৫ ও ৬ নং আসামিদের পরিচয়অজ্ঞাত। তাদের পরিচয় এবং মামলার আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর সঙ্গে উক্ত আসামিদের খারাপ সম্পর্কের স্বরূপ উন্মোচন এবং ভিকটিম আকাশের মৃত্যু সংক্রান্তে তাদের কর্মকাণ্ড কোনোরূপ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে কিনা সেগুলোও তদন্তের দাবি রাখে।’ আদালত উল্লেখ করেন, ‘মামলার এজাহার এবং ফরোয়ার্ডিং দৃষ্টে আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে স্বামী অর্থ্যাৎ মৃত ভিকটিম আকাশের বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পরপুরুষের সঙ্গে সহবাসসহ নানাবিধ সম্পর্কে জড়ানো এবং ক্লাবে গিয়ে রাতযাপনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। মৃত ভিকটিম আকাশের আসামির উক্ত কাজে বাধা প্রদান করার কারণে আসামিরা কর্তৃক মৃত ভিকটিম ডা. আকাশকে মানসিক যন্ত্রণা প্রদান করার অভিযোগ রয়েছে।’ রিমান্ডের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় রাষ্ট্রপক্ষের দাবিকৃত মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরিচয় আবিষ্কারসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান যুক্তিসংগত।’ উক্ত আদেশে তানজিনা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশের শেষের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যদিও মামলার এজাহারে দণ্ডবিধি ৪৯৭ ধারা (ব্যভিচার সংক্রান্ত) সংযুক্ত নেই। কিন্তু মামলা তদন্তে উক্ত ধারার উপস্থিতি পেলে এবং কোনো আসামির যোগসূত্র পেলে তাদের বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করবেন।’ স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে গত বৃহস্পতিবার নিজ শরীরে ইনজেকশান পুশ করে আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ।  আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার মা শামীম শেলী, পিতা আনিসুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং মিতুর দুই বয়ফ্রেন্ড আমেরিকান প্রবাসী প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলমসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মা জোবেদা খানম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করা তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী মিতু ও অন্য আসামিরা ‘ব্যভিচার’এর অপরাধে জড়িত কিনা সেটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ডা. আকাশের আত্মহত্যা: মিতুর পাসপোর্ট ও গ্রিনকার্ডের খোঁজ মিলছে না
চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করা তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর পাসপোর্ট ও আমেরিকান সিটিজেনশিপের ‘গ্রিনকার্ড’ পাওয়া যাচ্ছে না।  মিতুর অভিযোগ, এগুলো তার শ্বশুরবাড়িতে আছে। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি এসব বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।  আগামীকাল বুধবার মিতুকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে চান্দগাঁও থানায় আনা হবে।  সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৩ জানুয়ারি মিতু আমেরিকা থেকে দেশে আসেন। এরপর বাবা ও স্বামীর বাড়িতে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিল মিতু। ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় মিতু আকাশের বাসায় যান।  ওই দিন রাতে মিতুর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে আকাশের সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মিতু তার বাবাকে ফোন করে ডেকে এনে ভোর ৪টার দিকে বাবার বাসায় চলে যান।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের জানান, গ্রেফতারের পর মিতু অভিযোগ করছেন ওই দিন ঝগড়ার একপর্যায়ে মিতুর পাসপোর্ট ও আমেরিকায় বসবাস করার সিটিজেনশিপ ‘গ্রিনকার্ড’ কেড়ে নেয় স্বামী ডা. আকাশ। বর্তমানে ওইসব শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে আছে বলেও মিতুর দাবি।  এদিকে মিতুর পাসপোর্ট এবং গ্রিনকার্ডের সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন ডা. আকাশের ছোট ভাই নেওয়াজ মোরশেদ।  তিনি বলেন, আকাশ মৃত্যুর আগে আমাদেরকে এসব বিষয়ে কিছুই বলে যাননি।  এদিকে নগর পুলিশের এডিসি (উত্তর) মো. মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদে বুধবার কারাগার থেকে থানায় আনা হবে। তিন দিনের রিমান্ডে মিতুকে দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হবে। এর মধ্যে আকাশ-মিতুর দাম্পত্য জীবন কেমন ছিল, আকাশের মৃত্যুর জন্য মিতুর কতটুকু প্ররোচনা ছিল এবং মৃত্যুর আগে আকাশের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে কতটুকু সত্যতা আছে এসব বিষয়ে মিতুর কাছে নানা প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হবে।’   স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে গত বৃহস্পতিবার নিজ শরীরে ইনজেকশান পুশ করে আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ।  আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার মা শামীম শেলী, পিতা আনিসুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং মিতুর দুই বয়ফ্রেন্ড আমেরিকান প্রবাসী প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলমসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মা জোবেদা খানম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করা তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর পাসপোর্ট ও আমেরিকান সিটিজেনশিপের ‘গ্রিনকার্ড’ পাওয়া যাচ্ছে না।
পুবাইলে কেমিক্যাল কোম্পানির বয়লার বিস্ফোরণ, ভয়াবহ আগুন
গাজীপুরের পুবাইলে ক্রিসেন্ট নামে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির চারটি বয়লার বিস্ফোরণ হয়ে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুবাইলের করমতলা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের তীব্র উত্তাপে এলাকার লোকজন দিগ্বিদিক ছুটে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। গাজীপুর ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
গাজীপুরের পুবাইলে ক্রিসেন্ট নামে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির চারটি বয়লার বিস্ফোরণ হয়ে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনে কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।
কচুয়ায় ক্লাস চলাকালীন জ্ঞান হারালো অর্ধশতাধিক ছাত্রী
চাঁদপুরের কচুয়ায় ক্লাস চলাকালীন একই বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর জ্ঞান হারানোর ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রীদের এমন জ্ঞান হারানোকে গণ হিস্টিরিয়া বলছেন চিকিৎসকেরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারাধন ভৌমিক যুগান্তরকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে অষ্টম শ্রেনীর একজন ছাত্রী হঠাৎ মাথা ঘুরাচ্ছে বলে আসন থেকে পড়ে যায় ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর একইভাবে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে এসব অসুস্থ ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আশপাশের অভিভাবকদের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান হারাধন ভৌমিক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফারিয়া, লিজা, সিয়াম, ওম্মে আয়মা, আফরিন, সুমাইয়া, মীম, রোকসানা, তানজীনা, তামান্না, সাবনুর, হালিমা, জেসমিন, সুমাইয়া, তাহমিনা, খাদিজা, রোকেয়া ও সুমাইয়া আক্তার নামের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪৬জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। আক্রান্তদের অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন জানিয়ে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) সোহেল রানা যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসার পর পরই আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। আচমকা এভাবে বিদ্যালয়ের এতো শিক্ষার্থী কেন অসুস্থ্য হয়ে পড়ল জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, একজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় বাকীদের মধ্যে আতংক কাজ করেছে। এ কারণে বাকীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুরো বিষয়টা মানসিক বলে ধারণা করছেন তিনি। এ বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হলে ভয়ের কিছু নেই। আক্রান্তরা আজকের মধ্যেই সেরে উঠবে বলে আশা করছি।
চাঁদপুরের কচুয়ায় ক্লাস চলাকালীন একই বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর জ্ঞান হারানোর ঘটনা ঘটেছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বস্তাভর্তি নকল উদ্ধার! কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি
পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হলো বিপুল পরিমাণে নকল (বই এর পাতা)। শিক্ষার্থীরা যে যার মতো অসাদু উপায়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন। এসব নকল একটি বস্তায় ভরলে তা পূর্ণ হয়েও উপচে পড়ে। অথচ এ বিষয়ে পরীক্ষক ও কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তেমন কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। গতকাল সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চাঁদপুরের দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এমন চিত্রই দেখলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কানিজ ফাতেমা। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তিনি চাঁদপুর আহমাদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। সোমবার আরবী প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা।   কানিজ ফাতেমা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করেই শহরের টেকনিক্যাল স্কুল চাঁদপুর-১ মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই। কক্ষগুলো পরিদর্শন করে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া যায়। এসময় ওই কেন্দ্রের অধিকংশ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বিপুল পরিমান নকল (বই এর পাতা) উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবার আবেদন করলে তাকে অব্যহতি দেয়া হয় বলে জানান তিনি।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মঈনুল হাসান জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে ওই কেন্দ্রের সহকারী সচিব ও সদর উপজেলার মনিহার দাখিল মাদ্রাসার সুপার নাজির আহম্মেদকে সচিব করা হয়েছে বলে জানান মঈনুল হাসান।
পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উদ্ধার হলো বিপুল পরিমাণে নকল (বই এর পাতা)। শিক্ষার্থীরা যে যার মতো অসাদু উপায়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
রাঙ্গাবালীতে বহিষ্কারের পর পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ওই পরীক্ষার্থী। ওই কেন্দ্রের সচিব মুজিবুর রহমান বলেন, নকল বহন করার দায়ে ১০টা ৫৫ মিনিটে উপজেলার কাছিয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ইশাত হোসেন নামের এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহাগ হাওলাদার তাকে বহিষ্কার করেন।   এদিকে মানসিক চাপে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী ইশাত বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে তাকে তাৎক্ষনিক রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কাছিয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমান রাশেদ বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসার পর ইশাত এখন সুস্থ আছে।
অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ফতুল্লায় অটোরিকশা চাপায় মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার গলাচিপা এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাপায় নুসরাত আক্তার (৭) নামে মাদ্রাসার ছাত্রী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় শহরের গলাচিপা এলাকার আউয়াল চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত নুসরাত আক্তার একই এলাকার সোহেল মোল্লার মেয়ে। সে শহরের আদর্শ আলিম মহিলা মাদ্রাসার প্রথম শ্রেনির ছাত্রী। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা অটোরিকশাটি আটক করে ভাঙচুর করলেও এর চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার গলাচিপা এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাপায় নুসরাত আক্তার (৭) নামে মাদ্রাসার ছাত্রী নিহত হয়েছে।
খাদ্যে ভেজাল-মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে কোনো ছাড় নয়: মেয়র লিটন
খাদ্যে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যারা খাদ্যে ভেজাল দেন, অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করেন, তাদের সর্তক করছি। এসব ব্যাপারে আমরা কঠোর এ্যাকশনে যাব। দলীয় কোনো বিষয় দেখা হবে না। জনগণের স্বার্থে, রাজশাহীর মানুষের স্বার্থে ঝুঁকি নিতে চাই। তবে অন্যায়ভাবে কাউকে ধরা হবে না। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরভবনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বতর্মান সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মানুষের বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ভালো জায়গায় পৌঁছেছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে রাসিক অনেকবার প্রথম হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় রাসিক দেশের মধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মেয়র বলেন, এবার দেশে তৈরি ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হবে। এটি বতর্মান সরকার ও স্বাস্থ্যখাতের সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ফলে সম্ভব হয়েছে। রাসিক পরিচালিত সিটি হাসপাতালের উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে হাসপাতালের পাশে ফাঁকা জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে সেখানে গার্লস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সিটি হাসপাতালে সীমিত অর্থে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে চাই। রাজশাহী-নাটোর রোড থেকে সিটি হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তও করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন রাসিক মেয়র। মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদক নির্মূলে আগামী এক মাসের মধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলর, শিক্ষক, ইমামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে কমিটি গঠন করে দেয়া হবে। সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন টুনু, সচিব রেজাউল করিম ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএফএম আঞ্জুমান আরা। উল্লেখ্য, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩৮৪টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৭ হাজার ৯৭৬ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫৪ হাজার ৯৭৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থায়ী ৩৪৩টি এবং ভ্রাম্যমাণ ৪১টি কেন্দ্রে সর্বমোট ৭৬৮ জন স্বেচ্ছাসেবী এ কাজে নিয়োজিত থাকবে।
খাদ্যে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যারা খাদ্যে ভেজাল দেন, অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করেন, তাদের সর্তক করছি। এসব ব্যাপারে আমরা কঠোর এ্যাকশনে যাব। দলীয় কোনো বিষয় দেখা হবে না। জনগণের স্বার্থে, রাজশাহীর মানুষের স্বার্থে ঝুঁকি নিতে চাই। তবে অন্যায়ভাবে কাউকে ধরা হবে না।
চট্টগ্রামে কোরআনের হাফেজ থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার বাসিন্দা আবদুল মান্নান। তিনি ৩০ পারা কোরআনের হাফেজ।  এ ছাড়া তিনি কওমি মাদ্রাসা থেকে এসএসসি সমমান পর্যন্ত পড়ালেখা করে নরসিংদী জেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়াকান্দি গ্রামের মক্তবে শিশুদের আরবি পড়াতেন। মঙ্গলবার কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা চৌমুহনী মোড়ে পুলিশের হাতে আটক হন আবদুল মান্নান। কর্ণফুলী থানার এসআই মনিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আটকের সময় তার কাছ থেকে ৫৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়েছে। আবদুল মান্নান জানান, অভাবের তাড়নায় পড়ে গত এক বছর ধরে তিনি ইয়াবার খুচরা ব্যবসা করছেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার বাসিন্দা আবদুল মান্নান। তিনি ৩০ পারা কোরআনের হাফেজ।
ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য তেল-পানির মতো
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সম্পর্ক ছিল তেল ও পানির মতো। তেল ও পানি যেমন একত্রে মেশে না, ঠিক তাদের সম্পর্কও এ রকম। ঐক্যফ্রন্টের বিভেদ দেখা দিয়েছে। ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তারা ঐক্য করেছিল।  মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের এজেন্ডা ছিল ব্যক্তিগত। আর ব্যক্তিগত এজেন্ডা নষ্ট হলে কেউ পরস্পরের কথা শোনে না। এখন তারা একে ওপরের কথা শুনবেন না এটিই স্বাভাবিক।   উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশে উন্নয়ন তারা চান না। তারা শুধু নির্বাচন বর্জনের উছিলা খুঁজছে। তারা নির্বাচনে না এলেও কোনো সমস্যা নেই। গণতন্ত্র স্বাভাবিকভাবেই চলবে।  সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সম্পর্ক ছিল তেল ও পানির মতো। তেল ও পানি যেমন একত্রে মেশে না, ঠিক তাদের সম্পর্কও এ রকম। ঐক্যফ্রন্টের বিভেদ দেখা দিয়েছে। ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তারা ঐক্য করেছিল।
বড়াইগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মো. হেলাল হোসেন (৩০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।  সোমবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  এর আগে বিকাল ৫টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে আহম্মেদপুর কারবালা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হেলাল লালপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে। তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) বড়াইগ্রাম শাখার ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মোজাম্মেল হক জানান, বিকালে নাটোর থেকে দুই আরোহী দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে আহম্মেদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় সামনের আরোহীকে পেছনের আরোহী ধাক্কা দিলে তারা রাস্তার ওপরে ছিটকে পড়ে আহত হন।  তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে হেলালের অবস্থার অবনতি হলে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে হেলালকে গুরুতর অবস্থায় রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।   কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বড়াইগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক মো. খায়রুল ইসলাম জানান, হেলাল ছুটি নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নাটোরে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মো. হেলাল হোসেন (৩০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ সিলেটের তৈয়ব আলী!
বাংলাদেশের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তৈয়ব আলী। তিনি প্রায় সাড়ে ছয় ফুট লম্বা। উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম যুধিষ্ঠিপুর গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ব আলী। একসময় ছিলেন সুঠাম দেহের অধিকারী। তিনি এখনও সবল, নিজে নিজেই সব কিছু করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে চোখেও দেখেন।  তৈয়ব আলীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, তার বয়স ১৩৫ বছর। কিন্তু তার জাতীয় পরিচয়পত্রে লেখা হয়েছে তার জন্ম ১৯১২ সালে।  তিনি বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়। নির্বাচনের সময় লোকজন এসে পরিচয়পত্র বানিয়েছে। তার বয়স কত তা জিজ্ঞেস না করেই অনুমান করে একটা সাল বসিয়ে দেয়া হয়েছে। তার নিজের হিসাব মতে জন্ম ১৮৮৪ সালে। হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বয়স চলছে ১৩৫ বছর। জানা যায়, তিনি ১০ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক।  বড় ছেলে শামসুল ইসলাম, যার বয়স ৮২ বছর। তার আগে বড় আরও দুজন মারা গেছেন।  তিনি জানান, সেই সময় ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ব্রিটিশ যুদ্ধ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধ। তার মতে, স্বাধীনতাযুদ্ধ মাত্র কয়েক দিন আগের ঘটনা। সব কিছু গদগদ বলে দেন। দারুণ আত্মবিশ্বাসী তৈয়ব আলী বিভিন্ন ইতিহাসের সাক্ষী। তার বাবাও ছিলেন দীর্ঘজীবী মানুষ। বাবা আমজদ উল্লাহ মৃত্যূবরণ করেন ১১৩ বছর বয়সে।  এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় সোদিমেদজো নামের ব্যক্তির বয়স ছিল ১৪৬ বছর। তিনি মারা যাওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন বাংলাদেশের পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বিএল বাড়ির আহসান উদ্দিন শাহ্।  গত বছর তিনি মারা যান। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি- তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক লোক।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তৈয়ব আলী। তিনি প্রায় সাড়ে ছয় ফুট লম্বা।
হিরো আলমের শুটিং দেখতে পদ্মার চরে ভিড়
রাজশাহীর পদ্মার চরে শুটিং করতে এসেছেন আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম।   সোমবার সকাল থেকে পদ্মার চরের খোলা আকাশের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং শুরু হয়। এদিকে হিরো আলমের শুটিংয়ের খবর পেয়ে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন শুটিং স্পটের চারদিকে।  এসময় শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে হিরো আলম ভক্তদের সময় দেন। কারও কারও সঙ্গে সেলফি তুলেন। আবার করমর্দন করে ফটোসেশন করেন অনেকেই।  রোববার রাতে শুটিং ইউনিটটি যে হোটেলে উঠেছিল সেখানেও হিরো আলমকে দেখতে ভিড় করেন অনেক ভক্ত।   হিরো আলম বলেন, ‘রাজশাহীতে আমার অনেক ভক্ত রয়েছেন। আমাকে দেখে তারা এসে ভিড় জমিয়েছেন। ভক্তদের দেখে আমারও খুব ভালো লেগেছে। তাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি ধন্য হয়েছি।’ তিনি বলেন, এবারই প্রথম রাজশাহীর পদ্মার চরে শুটিং করতে এসেছি। এখানে চারটি মিউজিক ভিডিওর শুটিং করব।  ক্লাস মিডিয়া প্রযোজিত ও শাহরিয়ার হাসান শুভ পরিচালিত চারটি মিউজিক অ্যালবামের শুটিং চলবে পদ্মার চর, পদ্মার পাড়, কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।  জমকালো এসব মিউজিক ভিডিও খুব শিগগির ইউটিউবে ভক্তরা দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম। হিরো আলমের পুরো নাম আশরাফুল আলম ওরফে সাঈদ। তবে দেশের মানুষের কাছে তিনি ‘হিরো আলম’ নামেই সমধিক পরিচিতি পেয়েছেন। ইউটিউব চ্যানেলে মিউজিক ভিডিওর একজন জনপ্রিয় তারকা হিরো আলম।  ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় হিরো আলমের নির্বাচনী খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে।
রাজশাহীর পদ্মার চরে শুটিং করতে এসেছেন আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম।
কলমাকান্দায় বাবার লাশ রেখে পরীক্ষা দিল বিউটি
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিতে গেল বিউটি আক্তার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী।  এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোররাতে কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে। জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাতে বাবা মো. আনোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার পর সহপাঠী ও বড়খাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুশফিকুর রহমান রুবেলের সহযোগিতায় ওই ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়।  স্কুলজীবনের প্রতিটি পরীক্ষাতেই বাবার হাত ধরে যেত বিউটি, কিন্তু বিধির অমোঘ বিধানে বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যেতে হলো বিউটির। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রীটি বাম হাতে চোখ মুছে আর ডান হাতে কলম ধরে। এভাবেই বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে বিউটিকে। আর এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন পরীক্ষার হলে বিউটি আক্তারকে সান্ত্বনা জানাতে গিয়ে ভাষাহীন হয়ে পড়েন। সজল চোখে জড়িয়ে ধরলেন মেয়েটিকে।  তারা বলেন, পরীক্ষায় সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যাতে নির্বিঘ্নে বিউটি পরীক্ষা দিতে পারে। তার যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেটি দেখতে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  বিউটির বাবা মো. আনোয়ার হোসেন ছিলেন একই ইউনিয়নের বড়খাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি। মস্তিস্কে রক্তকরণ হয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিতে গেল বিউটি আক্তার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী।
প্রশ্নফাঁস: তাহিরপুরের আটক তরুণ কারাগারে
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চলমান ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক নাহিম মিয়া (১৯) নামে এক তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। নাহিম উপজেলা সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের বিপ্লব মিয়ার ছেলে। এর আগে রোববার মধ্যরাতে র‌্যাব-৯ সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি টহল দল চলমান ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার বেশ কিছু নমুনা প্রশ্নপত্র, সিমসহ দুটি স্মার্টফোন নাহিমের কাছ থেকে জব্দ করে। অভিযোগ রয়েছে, তরুণ নাহিম প্রশ্নপত্র সংগ্রহের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনের কাছে ওই সব প্রশ্নপত্র বিক্রয় করে আসছিল।   র‌্যাব-৯ সিপিসি ৩, সুনামগঞ্জ ক্যাম্প সূত্র জানায়, নাহিম মিয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত। তবে তার নিকট থেকে জব্দকৃত প্রশ্নপত্র চলমান ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল না থাকলেও অনেক প্রশ্নই মিল ছিল।  ওই অভিযোগ পেয়ে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল রোববার মধ্যরাতে তাহিরপুর সদরে অভিযান চালিয়ে নাহিম মিয়ার কাছ থেকে দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও দুটি সিমসহ ১৪টি প্রশ্নপত্র জব্দ করে।  এসব প্রশ্নপত্র দিয়ে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ম্যাসেঞ্জারে গিয়ে বিভিন্নজনের কাছে টাকার বিনিময়ে আদান-প্রদান করে আসছিলেন।  তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান,  র‌্যাব নাহিমকে আটকের পর থানায় সোপর্দ করে। এর পর নিয়মিত মামলা করা হলে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চলমান ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক নাহিম মিয়া (১৯) নামে এক তরুণকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জে বাস খাদে পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নিহত ২
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বাস খাদে পড়ে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।  সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের খেলনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জের সুলতানশাই গ্রামের আবদুল মাজেদ মোল্লার ছেলে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ও কোটালীপাড়ার মোমেনা বেগম (২৬)।  সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, যাত্রীবাহী বাসটি গোপালগঞ্জ থেকে কোটালীপাড়া যাচ্ছিল।  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার খেলনা নামক স্থানে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ দুজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। তাদের সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বাস খাদে পড়ে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
মহেশখালীতে দুগ্রুপের ‘বন্দুকযুদ্ধে’যুবক নিহত
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাহাব উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ছোট মহেশখালীর কালমাদিয়া এলাকায় গহিন বনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নিহত সাহাব উদ্দিন সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য। তিনি কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৬ মামলা রয়েছে।  মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, ভোরে সন্ত্রাসী দুগ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ কালমাদিয়া এলাকার গহিন বনে যায়। এ সময় সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা গোলাগুলি হয়।   পরে গুলি থেমে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাহাব উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, চারটি এলজি এবং ১৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৬ মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাহাব উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
পাবনায় ‘বন্দুকযুদ্ধ’ যুবক গুলিবিদ্ধ
পাবনায় শহরতলির মেডিকেল কলেজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আপিল শেখ (৪২) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাত দেড়টার দিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ এলাকায় ছাতিয়ানি পশ্চিমপাড়ায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নিহত আপিল শেখ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে ৯টি মামলা রয়েছে। তিনি শহরের ছাতিয়ানি পশ্চিকপাড়া গ্রামের মো. শমসের শেখের ছেলে। পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলেন আপিল শেখ ও তার সঙ্গীরা।  সোমবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে আপিল শেখ ও তার সহযোগীরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে।  একপর্যায়ে গুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলি, চার রাউন্ড শটগানের গুলির খোসা, একটি চাকু, পাঁচ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এএসআই নুরুজ্জামান, শাহীন ও কনস্টেবল শাহাদত আহত হন। তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। আপিল শেখ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
পাবনায় শহরতলির মেডিকেল কলেজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আপিল শেখ (৪২) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ঝড়ে সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবে জেলে নিহত, নিখোঁজ ১৪
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে গভীর সাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। সোমবার ভোররাতে সাগরে হঠাৎ ঝড় উঠলে ‘এফভি শাহ বদর-২’ নামের ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও ১৪ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন। কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল ভোররাতে সাগরে আকস্মিক ঝড় উঠলে ট্রলারটি ডুবে যায়। ওই ট্রলারটির ২০ মাঝিমাল্লার মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে জীবিত ও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বাকি ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।  ডুবে যাওয়া টুলারটি উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানান সাইফুল ইসলাম।
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে গভীর সাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে।
যেভাবে ফেঁসেছিলেন জাহালম
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে আবু সালেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক।  মামলা ও পরবর্তী সময়ে ২৬টি মামলার চার্জশিটে সালেকের নাম ব্যবহার করা হলেও জাহালমকে সালেক নামে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচ বছর আগে সালেককে তলব করে দুদক চিঠি দিলে সেই চিঠি পৌঁছে জাহালমের টাঙ্গাইলের বাড়ির ঠিকানায়। অথচ জাহালম বাড়িতে থাকেন না। তিনি কাজ করেন নরসিংদীর ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলের শ্রমিক হিসেবে। পরে ভাই শাহানূর মিয়ার কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন জাহালম এবং এর পর দুই ভাই একসঙ্গেই যান দুদক কার্যালয়ে। সেখানে জাহালম দুদককে জানান, তিনি আবু সালেক নন। সোনালী ব্যাংকে তার কোনো অ্যাকাউন্টও নেই। ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবু সালেকের যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও তার নয়।  কিন্তু দুদকে উপস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা অনুসন্ধানকালে জাহালমকেই ‘আবু সালেক’ হিসেবে শনাক্ত করেন।  এর পর আবার ফিরে যান পাটকলের কাজে। মামলার চার্জশিট হওয়ার পর জাহালমের বিরুদ্ধে আদালত থেকে তিন বছর আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোড়াশাল থেকে জাহালমকে গ্রেফতার করে দুদক। পরে আদালতে জাহালম দুদকের পরিচয় বিভ্রাটের বিষয়টি তুলে ধরে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। কিন্তু কেউ তার কথা কানে তোলেননি।  এমনকি দুদকের পিপিরাও বিষয়টি ভালোভাবে পর্যালোচনা করেননি। যে আদালতে বিচার চলছে সেই আদালতের বিচারকও বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনায় নিলে জাহালমকে বিনাকারণে তিন বছর জেলে থাকতে হতো না। শেষ পর্যন্ত কারও কাছে সমাধান না পেয়ে জাহালমের বড় ভাই শাহানূর মিয়া গত বছর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন।  তার আবেদনে কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে জাহালমের সঙ্গে কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। পরে মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে বেরিয়ে আসে, আবু সালেক আর জাহালম এক ব্যক্তি নন। এ নিয়ে ৩০ জানুয়ারি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তা হাইকোর্টের নজরে আনেন একজন আইনজীবী।  পরে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ জাহালমকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তির আদেশ দেন।
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে আবু সালেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ১৪ আসামি গ্রেফতার
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা থেকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।    সোমবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও সাজাপ্রাপ্ত থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার আমদাবাজ গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে আসুক আলী, একই গ্রামের মৃত বারিন্দ্র কুমার দাসের ছেলে লিটন কুমার দাস, গাজীনগর গ্রামের মৃত ছালিম উল্লাহর ছেলে আঙ্গুর মিয়া, নোয়াগাঁও গ্রামের আবুল বশরের স্ত্রী সুরমা বেগম, একই গ্রামের আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী হেরেরুননেছা, আবদুল আউয়ালের ছেলে আল আমিন আহমদ, মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে আবদুল আউয়াল, আবুল বশর, মৃত গরিব উল্লাহর ছেলে হাজী আছদ্দর আলী, জয়কলস গ্রামের মৃত কালাই মিয়ার ছেলে জবর আলী, বীরগাঁও গ্রামের আব্দুছ ছোবহানের ছেলে তৈয়বুল হক, জামলাবাজ গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে হারুন মিয়া, একই গ্রামের রূপচাঁন রবি দাসের ছেলে বাবুল রবি দাস, নোয়াখালী গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে আবদুল হান্নান।
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা থেকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
চট্টগ্রামের সেই চিকিৎসকের স্ত্রী ৩ দিনের রিমান্ডে
স্ত্রীর পরকীয়াকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল ইমরান খানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আদালত মিতুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানা পুলিশ মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়। কিন্তু ওইদিন আবেদনের শুনানি হয়নি। সোমবার শুনানি শেষে আদালত মিতুর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডা. আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী মিতুসহ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়। আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা করেন ডা. আকাশের মা জোবেদা খানম। মামলায় আসামিরা হলেন- তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার মা শামীম শেলী, বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং মিতুর দুই বয়ফ্রেন্ড উত্তম প্যাটেল ও ডা. মাহবুবুল আলম। এছাড়া ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
স্ত্রীর পরকীয়াকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল ইমরান খানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গাইবান্ধায় ধরা পড়ল ‘প্লাস্টিকের চাল’!
গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ ‘প্লাস্টিকের চাল’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করেন। জব্দ করা চাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা রনি মিয়া রোববার বিকালে শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে ছয় কেজি চাল কেনেন। ওই দিন রাতেই বাড়িতে ওই চাল রান্না করা হয়।  সেই ভাত খেতে গিয়ে পরিবারের লোকজন কেমন একটা গন্ধের স্বাদ পান। এতে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর সোমবার সকালে ওই চাল ভাঁজলে সেগুলো কুঁচকে ও পুড়ে গলে যায়। এতে রনি মিয়ার সন্দেহ হয়। তখন রনি মিয়া ওই চাল নিয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান। রনি মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার রায় ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাছুম আলীকে বিষয়টি জানান।  এরপর ইউএনও উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে সোমবার দোকানে অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করা হয়। পরীক্ষার জন্য জব্দ চাল ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।  এছাড়া সোমবার শহরের ডিবি রোডসহ আরও কয়েকটি চালের দোকানে অভিযান চালানো হয়। সোমবার বিকালে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার মোবাইলে জানান, জব্দ করা চাল পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এরপরই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রুবান দেওয়ান বলেন, তিনি ওই চাল গাইবান্ধার পলাশবাড়ির টোল ভাড়া এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কেনেন। রুবান দেওয়ানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রিপোর্ট আসার পরই রুবান দেওয়ানের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের রুবান দেওয়ানের দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ ‘প্লাস্টিকের চাল’ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাজীপুরের শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।  সোমবার রাত ৭টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকার (মাওনা সিএনজি) পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ উপজেলার সালদিগা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৬) ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মনতলা গ্রামের মরমেশ আলীর মেয়ে শরীফা আক্তার (২২)।  সুমন পরিবারসহ  স্থানীয় ফরিদপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিন মুন্সির বাড়ীতে ভাড়া থেকে জৈনা বাজারের মাংস ব্যবসা করত এবং শরিফা বোনের সঙ্গে ফরিদপুর গ্রামে ভাড়া থেকে নয়নপুরের ডেকু পোশাক কারখানার চাকুরি করত।  মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, সুমন শরিফাকে নিয়ে মুঠোফোন মেরামতের জন্য মোটরসাইকেলে মাওনা চৌরাস্তায় আসছিল। এ সময় একইগামী অজ্ঞাত কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে চাপা দিলে তারা সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মাওনা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান বিএসপি চেয়ারম্যানের
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। মঙ্গলবার (২২শে এপ্রিল) তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ‘আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন, “তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো।” আবার এও বলেছেন, “তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।” এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না।’ ‘আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন,’ বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ‘মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি।’ সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। সিম্পোজিয়ামের বিষয়: ‘ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব।’ সেখানে বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান।
প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ড. সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন,‘প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তরান্বিত হচ্ছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠালে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে না ; বরং মুদ্রাপাচার বেড়ে যাবে।’ আজ রবিবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি বরেন, ‘সাবেক অর্তমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ হারাচ্ছে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার কারণে। প্রবাসীরা যদি হুন্ডি না করে ব্যাংকিং চ্যানেলে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাঠাতেন, তবে দেশের রিজার্ভে এ ২০ বিলিয়ন ডলার যুক্ত হতো এবং রিজার্ভ শক্তিশালী থাকতো। ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার পরেও কেন তারা অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে, তা নিয়ে আমাদেরকে বিশদভাবে ভাবতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘অর্থপাচারকারীরাই মূলত হুন্ডি চক্রের সাথে জড়িত। তাই মুদ্রাপাচার রোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আমি জোড়ালোভাবে প্রবাসী ভাইদের আহবান জানাবো, দেশের স্বার্থ চিন্তা করে আপনারা দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ পরিচয় দিন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি ও অগ্রযাত্রাকে সুরক্ষিত রাখুন।’ আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, মালয়েশিয়া শাখা কমিটি মোহামমদ রুহুল আমিন সভাপতি মোহামমদ ইকবাল সাধারন সম্পাদক করে ৫১ সদস্য কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান ড. সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন,‘প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তরান্বিত হচ্ছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠালে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হবে না ; বরং মুদ্রাপাচার বেড়ে যাবে।’
মালয়েশিয়ায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয়ের মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় পলাতক ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ অপরাধী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয়ের মরদেহ কুয়ালালামপুরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক সূত্র জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল কুয়ালালামপুর পুলিশ একটি তালাবদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। জয় এত দিন তারেক রানা পরিচয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তবে বাংলাদেশ পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। সূত্র জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে জয় কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতে হতো। গত ১২ এপ্রিল সকালে তার গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিং বেল বাজানোর পরও সাড়া না পেয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে থানাকে অবহিত করেন। পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইউকেএম হাসপাতালে পাঠায়। এই সম্পর্কে পুলিশের হেডকোয়াটার ইন্টারপোল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী হায়দার চৌধুরী গতকাল রাতে সংবাদকে জানান, তারা ঘটনাটি শুনেছেন, তবে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তারপরও খররটি যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে । হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহ গ্রহণ করতে লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। নব্বইয়ের দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত-হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান জয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকা- শুরু করেন। সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকান্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, মারাত্মক জখম ও চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অনেকগুলো অভিযোগ ছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে ২০০০ সালে গ্রেপ্তার হন জয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখান থেকে তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। পরবর্তীতে আবার ভারতে ফিরে আসেন। ভারতে থাকাকালে তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল জয়ের বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে। ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় নতুন করে তার নাম আসে। অভিযোগ রয়েছে, ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গুলির ঘটনায়ও জয়ের সম্পৃক্ততা ছিল। ওই বছর তিনি সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন এবং কিছু দিন জেল খেটে বেরিয়ে কানাডায় চলে যান। কানাডায় জয় ‘এসজে ৭১’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। সেখানে রানা অ্যাজাক্স নামে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। ২০১৫ সালে কানাডা পুলিশ তার ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। ২০১৯ সালে কানাডার নির্বাচনের আগে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস করে আসছিলেন।
মালয়েশিয়ায় পলাতক ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ অপরাধী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয়ের মরদেহ কুয়ালালামপুরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কলকাতায় উপ-হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে কলকাতায় উপ-হাইকমিশনে। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং মুজিব চিরঞ্জীব মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এর কর্মকর্তা/কর্মচারিগণও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর ছাত্র জীবনের স্মৃতি-বিজড়িত ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ)-এর বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে (কক্ষ নং-২৪) তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারীতে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা করা হয়। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস-এর নেতৃত্বে উপ-হাইকমিশনের রাজনৈতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষা, বাণিজ্য, কনস্যুলার এবং প্রেস উইং-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর ছবিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রেরিত বানী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো: শামসুল আরিফ। আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু ও উন্নয়নকর্মী নাতাশা আহমেদ এবং কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর। বিশিষ্ট সাংবাদিক স্নেহাশীষ সুর তার বক্তব্যে কলকাতায় বঙ্গবন্ধু চর্চাকেন্দ্র গড়ে তোলার আহবান জানান। নাতাশা আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাঙালির অধিকার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। তিনি ছিলেন উদার ও সাহসী একজন মানুষ। সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিলো অপরিসীম ভালোবাসা। শিশুদের জন্য নিরাপদ পৃথিবী ছিলো তাঁর স্বপ্ন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বেলা ১২ টায় উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ কনফারেন্স হলে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ধাপে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের (ছাত্র-ছাত্রী) মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিন ও সেইসঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে সন্ধ্যায় আকর্ষণীয় আনুষ্ঠান ছিল সাংস্কৃতিকসন্ধ্যয় শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় আবৃত্তি, নাচ এবং সংগীতানুষ্ঠান l কলকাতাস্থ উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী পরিবারের সন্তানদের অংশগ্রহণে পুরো সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দর্শকদের মুগ্ধ করেছেl
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে কলকাতায় উপ-হাইকমিশনে।
নিউইয়র্কের সড়কে বাংলাদেশি দম্পতির মৃত্যু, আশঙ্কাজনক মেয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নিউইয়র্ক সিটি থেকে বিংহামটন শহরে যাওয়ার পথে নিউ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে ঘটনাস্থলেই তদের মৃত্যু ঘটে। নিউইয়র্কের গাজীপুর সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা সাথী আহম্মেদ (৪৫) তার স্বামী হাফিজ আহম্মেদ অ্যাঞ্জেল (৫২)-এর মৃত্যুতে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহত হাফিজ আহম্মেদের দেশের বাড়ি গাজীপুরে এবং তার স্ত্রী সাথী আহম্মেদের বাড়ি বরিশাল। তারা দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কেই বসবাস করতেন। পরিবারের চার সদস্য স্বামী-স্ত্রীসহ দু’সন্তান। তাদের ৮ বছরের সন্তান মেয়ে রাইদাকে নিয়ে শনিবার নিউইয়র্ক থেকে আপস্টেট বিংহামটন যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় গাড়ি দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। তাদের ৮ বছরের মেয়ে রাইদা নিকটস্থ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট আছেন। তাদের ১৮ বছরের এক ছেলে রয়েছেন। তার নাম ইসাম।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নিউইয়র্ক সিটি থেকে বিংহামটন শহরে যাওয়ার পথে নিউ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে ঘটনাস্থলেই তদের মৃত্যু ঘটে।
২১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ফ্রান্স, কমিউনিটিতে ক্ষোভ
সম্প্রতি ইউরোপের তিন দেশ থেকে ৫১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ফেরত যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্স থেকে ২১ জন, সাইপ্রাস থেকে ১৬ জন এবং গ্রিস থেকে ১৪ জন। ফ্রান্সের ২১ জনের মধ্যে কয়েকজনের ইউরোপের বৈধ কাগজপত্র ছিল। তারপরও তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরত যাওয়া বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, ফ্রান্সের দূতাবাসের অসযোগিতার কারণে তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। তারা ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ করে উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তারা প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছিলেন। এ নিয়ে ফ্রান্সের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলেছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও অভিবাসন অভিজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সে কাগজবিহীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর নজির খুব কম। সাধারণত বড় কোনো অপরাধ না করলে দেশে পাঠানো হয় না। আগে কোনো অনিয়মিত বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে আউট পাস চাইত। তখন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তদন্তের কথা বলে সময় চাওয়া হতো। এসময়ের মধ্যে বিভিন্ন উপায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বাংলাদেশিকে ছাড়িয়ে আনা হতো। অথচ এখন ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে বাংলাদেশিদের লিস্ট করে আউট পাস দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ ব্যাপারে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যথাসম্ভব দূতাবাসের উচিত ছিল প্রবাসীদের সহায়তা করা। যত বেশি প্রবাসী দেশে ফেরত যাবে, তত আমাদের রেমিট্যান্সে একটা প্রভাব পড়বে। কমিউনিটি নেতা সালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের চরম সংকটকালে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সরকারের পাশে থাকে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বতর্মানে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। বৈধপথে প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো নিয়ে সভা সেমিনার ও প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম ফেরত যাওয়া প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু দুঃখজনক দূতাবাস থেকে দ্রুত আউট পাস ইস্যু করায় তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কমিউনিটি নেতা বলেন, ফ্রান্সে আমার ৩০ বছর হলো। দূতাবাসের এমন আচরণ আগে কখনো দেখিনি। আজ ফ্রান্স বাঙালি কমিউনিটি দ্বিধাবিভক্ত। নানা কারণে কমিউনিটি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের সঙ্গে দূতাবাসের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি ইউরোপের তিন দেশ থেকে ৫১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ফেরত যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্স থেকে ২১ জন, সাইপ্রাস থেকে ১৬ জন এবং গ্রিস থেকে ১৪ জন। ফ্রান্সের ২১ জনের মধ্যে কয়েকজনের ইউরোপের বৈধ কাগজপত্র ছিল। তারপরও তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৫৬০
মালয়েশিয়ায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করার অপরাধে বাংলাদেশিসহ ৫৬০ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সেলাঙ্গরে বান্দার তাসিক কেসুয়াম বৈদুরি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ৪৫৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসার, ৬০ জন জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), ১২ জন জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের কর্মকর্তা এবং সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের পাঁচজন কর্মী । অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেন, আটককৃতরা বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভারত, কম্বোডিয়া, সিয়েরা লিওন এবং ক্যামেরুনের নাগরিক। এই অ্যাপার্টমেন্টে যারা বসাবাস করেন তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ বিদেশি বাসিন্দা। ঘনবসতি হওয়ায় অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে আশপাশের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কষ্ট হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল। এখানে বসবাসরত বিদেশিদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল অভিযোগ আছে। মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ আরও বলেন, অভিবাসন আইনের অধীনে অন্যান্য অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য বিদেশিদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের আরও তদন্তের জন্য বুকিত জলিলের ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। অভিযানের সময় ইমিগ্রেশনের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) জাফরি এমবোক তাহা, ইমিগ্রেশনের উপ-মহাপরিচালক (নিয়ন্ত্রণ) দাতুক কেন আনাক লেবেন, ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের পরিচালক মোহাম্মদ জাসমি মোহাম্মদ জুওয়াহির, সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামর উদ্দিন এবং ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কুমার উদ্দিন, ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করার অপরাধে বাংলাদেশিসহ ৫৬০ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সেলাঙ্গরে বান্দার তাসিক কেসুয়াম বৈদুরি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশি নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পেনসিলভানিয়ার ডেলাওয়ার কাউন্টির ক্রামলিনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত প্রবাসীর নাম ফিরোজ আলম ওরফে জাহাঙ্গীর (৫৫)। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছালামত উল্যাহ মেম্বার বাড়ির জুলফিকার আলীর ছেলে। নিহত ফিরোজ আলমের প্রতিবেশী প্রবাসী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে একটি টয়োটা কার ফিরোজ আলমের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে এবং নিহত ফিরোজ আলমের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের চাচাতো ভাই আবদুল করিম বলেন, ফিরোজ দেড় বছর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে কাজের অনুমতি পাওয়ার পর যাত্রী পরিবহন সেবা উবারে কাজ নেন। ক্রামলিনের আপারডাবিতে বসবাস করতেন তিনি। দেশে তাঁর দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী আছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পেনসিলভানিয়ার ডেলাওয়ার কাউন্টির ক্রামলিনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত প্রবাসীর নাম ফিরোজ আলম ওরফে জাহাঙ্গীর (৫৫)। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছালামত উল্যাহ মেম্বার বাড়ির জুলফিকার আলীর ছেলে।
জাতিসংঘের তিন সংস্থার বোর্ড সভাপতি হলেন বাংলাদেশের মুহিত
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয় (ইউএনওপিএস) নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। ২০২৪ সালের জন্য তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে মুহিতকে নির্বাহী বোর্ডের প্রধান নির্বাচিত করা হয় বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। নির্বাচনে কলাম্বিয়া, জার্মানি, রোমানিয়া এবং ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূতরা সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে এই তিনটি সংস্থার সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট রয়েছে। ইউএনডিপি মূলত দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা করে থাকে। ইউএনএফপিএ কাজ করে জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে। আর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক বিষয়াবলীর প্রকল্প সংক্রান্ত চূড়ান্ত কাজগুলো সম্পাদন করে ইউএনওপিএস। আরও বলা হয়, সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ সংস্থাগুলোর এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ পাবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য এবং এই তিনটি সংস্থার নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে। বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রমে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারবে। মুহিত বলেন, বিভিন্ন মহামারি, চলমান মানবিক এবং জলবায়ু সংকটজনিত কারণে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, তা উত্তরণে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএসকে আরও অধিকতর সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রয়োজন হবে। আর তাদের এই প্রচেষ্টায় নির্বাহী বোর্ড সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক ফোরামে ইতোমধ্যে একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, এই নির্বাচন তারই প্রতিফলন। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে, তার স্বীকৃতি বহন করে এই নির্বাচন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের পর থেকে রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি, ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএসের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয় (ইউএনওপিএস) নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। ২০২৪ সালের জন্য তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।
ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যু
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি থেকে সড়কপথে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৫ যাত্রী। নিহতরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নোয়াপাড়া নিবাসী নূর জাহান (৪৭) এবং তার মেয়ে আমিরাহ জাহান (১৩)। স্থানীয় সময় রোববার বিকালে রিয়াদ থেকে প্রায় তিনশ কিলোমিটার ভেতরে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসান জানান, আবুধাবি প্রবাসী ব্যবসায়ী দুই ভাই মোহাম্মদ নুরুল আলম ও আবু তাহেরের পরিবারের মোট ১৩ জন দুটো গাড়িতে করে একইসঙ্গে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যাচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে ৭ জন এবং পেছনের গাড়িতে ৬ জন যাত্রী ছিলেন। এসময় নুরুল আলমের মেয়ে রূপসা আলমের চালানো সামনের গাড়িটির একটি টায়ার ফেটে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে যায়। এতে আবু তাহেরের স্ত্রী নূর জাহান ও মেয়ে আমিরাহ জাহান নিহত হন, আহত হন নুরুল আলমসহ ৫ যাত্রী। তিনি জানান, আহতরা সবাই রিয়াদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেলে লাশ নিহতদের আত্মীয়দের কাছে ফেরত দেওয়া হবে। নিহত নূর জাহান গৃহিণী এবং আমিরাহ জাহান আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে তারা প্রায় ১৫ বছর ধরে আবুধাবিতে প্রবাস জীবনযাপন করছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি থেকে সড়কপথে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৫ যাত্রী। নিহতরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার নোয়াপাড়া নিবাসী নূর জাহান (৪৭) এবং তার মেয়ে আমিরাহ জাহান (১৩)।
মালয়েশিয়ায় ২৫২ জন বাংলাদেশিসহ ৫৬৭ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে ২৫২ বাংলাদেশিসহ ৫৬৭ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে কুয়ালালামপুরের বাংসারের আবদুল্লাহ হুকুমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের আটক করা হয়। কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের পরিচালক স্যামসুল বদরিন মহসিন জানিয়েছেন, এলাকায় বিদেশিদের আগমনের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এক সপ্তাহ ধরে নজরদারির পর শুক্রবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে শুরু হয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে এ অভিযান। অভিযানে মোট ১ হাজার বিদেশিকে চেক করে ৫৬৭ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়ে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশি (২৫২), নেপাল (১৬৩), মিয়ানমার (৭৫), ইন্দোনেশিয়া (৭২), ফিলিপাইন (৪) এবং ভারতের (১) নাগরিক রয়েছে। অভিযানের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক থেকে ৫৫ বছর বয়সী আটক অবৈধ অভিবাসীদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নেওয়া হয়েছে এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি) অনুসরণ করে তদন্ত করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে আটক অবৈধ অভিবাসীরা প্রতি ফ্ল্যাটে আট থেকে ১০ জন বাস করছিলেন। এমনকি অ্যাপার্টমেন্টের আশেপাশে শপিং সেন্টারসহ বিভিন্ন দোকান ও নির্মাণ সাইটে কাজ করতেন তারা। শ্যামসুল বদরিন বলেন, ১৪ তলা অ্যাপার্টমেন্টটি পরিদর্শন করার জন্য ইমিগ্রেশনের ৮৫ জন কর্মকর্তা এবং সদস্যদের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। অভিযানের সময় বেশ কিছু অভিবাসী ভবন থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা এবং দরজা খুলতে অস্বীকার করেছিল। এসময় ইমিগ্রেশন সদস্যদের জোর করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতে হয়েছে।
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে ২৫২ বাংলাদেশিসহ ৫৬৭ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে কুয়ালালামপুরের বাংসারের আবদুল্লাহ হুকুমের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে তাদের আটক করা হয়।
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
সৌদি আরবে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তারা। সৌদি আরবের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার ঘটনায় আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মূলত আর্থিক বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিক। আর তাদের হাতে খুন হওয়া ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক। ঘটনার দিন ওই ভারতীয় ব্যক্তিকে গাড়িতে করে একটি খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ব্যক্তিকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর পেছন থেকে কাপড়ের টুকরো দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এমনকি ওই ব্যক্তির মুখে কীটনাশক ছিটিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিহত ব্যক্তির লাশও দাফন করে ফেলেন অভিযুক্তরা। তবে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেও আগের রায় বহাল রাখা হয়। এমনকি রাজকীয় আদেশ জারির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের রায় চূড়ান্ত বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জাজান অঞ্চলে ওই ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সৌদি আরবে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তারা। সৌদি আরবের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার ঘটনায় আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আমিরাতে সড়কে প্রাণ ঝরলো বাংলাদেশি তরুণের
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ। নিহতের নাম সাজ্জাদ হোসেন অনিক (২৩), বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মধ্যপাড়া শান্তির বাগ এলাকায়। বাবার নাম ইকবাল হোসেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে খবরটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের মামা প্রবাসী বিল্লাল হোসেন। বিল্লাল জানান, সাজ্জাদ রাস আল খাইমার কাদরা এলাকায় কিংডম ডেটস নামে একটি প্রক্রিয়াজাত খেজুরের কোম্পানিতে বিক্রয়কর্মীর কাজ করতেন। মঙ্গলবার সারাদিনের কাজ শেষে রাত সাড়ে আটটার দিকে সাইকেলে করে তিনি তার আরেক মামা সোহেল মিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় এক আরবের গাড়ি পেছন থেকে সাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাত পান সাজ্জাদ। তাকে শারজার আল দাহিদ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু ঘটে। পুলিশ দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত গাড়ি ও তার চালককে আটক করেছে। বাংলাদেশে সাজ্জাদের বাবা-মা ও তিন ভাইবোন রয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য হিসেবে সংসারের হাল ধরতে ২০২১ সালে আরব আমিরাতে আসেন তিনি। আট মাস আগে দেশে ছুটিতে গিয়েছিলেন সাজ্জাদ। বর্তমানে তার লাশ দাহিদ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ঘটনার প্রয়োজনীয় পুলিশি তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা দেশে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ।
ইতালিতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
ইতালির উত্তরাঞ্চলে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। তবে গতি কম থাকায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেবল ১৭ জন আরোহী সামান্য আহত হয়েছেন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির বোলোগনা ও রিমিনি শহরের মধ্যকার রেললাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এদিন ফেনজা ও ফোর্লি এলাকার মাঝামঝি একটি উচ্চগতির ট্রেন এবং একটি আঞ্চলিক ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। তবে জাতীয় ট্রেন অপারেটর ট্রেনইটালিয়ার এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আহতরা ‘সামান্য আঘাত’ পেয়েছেন, বেশিরভাগই কাঁটাছেঁড়ার মতো ক্ষত। তিনি জানান, এটি খুবই কম গতির সংঘর্ষ ছিল। ঘটনার তদন্ত চলছে। ফায়ার সার্ভিস প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মুখোমুখি সংঘর্ষে উচ্চগতির ট্রেনের মাথা দুমড়েমুচড়ে গেলেও আঞ্চলিক ট্রেনটি অক্ষত রয়েছে। ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পরিবহনমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাটির ওপর নজর রাখছেন। কী ঘটেছে সে বিষয়ে আরও তথ্য এবং দায়ীদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন সালভিনি। এই ঘটনার মাত্র তিন মাস আগেই ইতালিতে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন রেলওয়ে কর্মী প্রাণ হারিয়েছিলেন। গত ৩১ আগস্ট রাতে মিলান-তুরিন রেললাইনে সংস্কার কাজের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। ইউরোপীয় দেশটিতে এর আগে প্রাণঘাতী রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালে। সেই সময় মিলানের দক্ষিণে লোদি এলাকায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হলে দুই রেলওয়ে কর্মী নিহত এবং ৩১ যাত্রী আহত হন। তার আগে ২০১৮ সালে মিলানের কাছেই একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে তিন নারী নিহত এবং আরও প্রায় ১০০ যাত্রী আহত হয়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনার জন্য দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণকে দায়ী করা হয়। সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
ইতালির উত্তরাঞ্চলে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। তবে গতি কম থাকায় বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেবল ১৭ জন আরোহী সামান্য আহত হয়েছেন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির বোলোগনা ও রিমিনি শহরের মধ্যকার রেললাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সিরাজ বেপারী (৪৫) নামে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ফালবাং আলমাসদিরিবসি নামক এলাকায়। নিহত ব্যক্তি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম কমলাপুর গ্রামের ছাদের বেপারীর ছেলে। এদিকে নিহতের খবরে শনিবার সকালে স্বজনদের কাছে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত বারহান মাতুবর নামে এক বাংলাদশী। বারহান মাতুব্বরের বরাত দিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ফালবাং আলমাসদিরিবসি নামক স্থানে এক চিকিৎসকর কাছে যান সিরাজ বেপারী। ডাক্তার দেখানোর পরে নিজ বাসায় ফেরার পথে দক্ষিণ আফ্রিকান সন্ত্রাসীরা তার কাছে চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি করে। এতে ঘটনাস্থানে মারা যায় সিরাজ বেপারী। পরে বারহান মাতুবর নামে এক বাংলাদশী গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন। বর্তমানে তার মরদেহ দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব তলাংগা নামক হাসপাতালর হিমাগাড়ে রাখা আছে। নিহতের প্রতিবেশী ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সত্তার মাতুব্বর ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপন কাজী জানিয়েছেন, গত শনিবার সকালে সিরাজ বেপারীর মৃত্যুর খবর আসলে আমাদের বাড়ির আশেপাশের লোকজনের মধ্যেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখন নিহতের লাশটি সরকারের সহযোগিতায় দ্রুত যাতে আমরা পেতে পারি সেই ব্যবস্থার দাবী করছি।’ ডাসার থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘পশ্চিম কমলাপুরের এক ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতের খবর এলাকাবাসীর মাধ্যমে পেয়েছি। তবে এখনো এই বিষয়ে কোন সহযোগিতার জন্য নিহতের পরিবারের কেউ আসেনি।’ এই ব্যাপারে ডাসার উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরাজ জানান, নিহতের মরদেহ দেশে আনতে যদি কোন ধরনের সহযাগিতা দরকার হয়, তাহলে সব ধরনের সহযাগিতা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সিরাজ বেপারী (৪৫) নামে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ফালবাং আলমাসদিরিবসি নামক এলাকায়। নিহত ব্যক্তি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম কমলাপুর গ্রামের ছাদের বেপারীর ছেলে। এদিকে নিহতের খবরে শনিবার সকালে স্বজনদের কাছে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত বারহান মাতুবর নামে এক বাংলাদশী।
৩৬ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
চলতি বছর প্রায় ৩৬ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। তবে এদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা জানা যায়নি। দেশটির অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮০২ জন অবৈধ (বৈধ কাগজপত্রহীন) অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে দেশটিতে পরিচালিত ৯ হাজার ১৬৪টি অভিযানের মাধ্যমে এক লাখ তিন হাজার ১২৪ অভিবাসীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৫৮ হাজার ৭৭৪ বিদেশি ও ২৮৯ নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানী কুয়ালালামপুর কোতারায়া কমপ্লেক্সে বিশেষ অভিযানের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ। এদিন কোতারায়ায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ৩৩০ অভিবাসীকে আটক করা হয়। ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, আটক অনেকেই অস্থায়ী ভিজিট পাস ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও চীনের শিশুসহ ২১৫ নারী ও ১১৫ পুরুষ রয়েছেন। সাত মাস থেকে ৭০ বছর বয়সী আটক সবাইকে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চলতি বছর প্রায় ৩৬ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। তবে এদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা জানা যায়নি।
৯৬৮ অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে লিবিয়া
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে গত দুই বছরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে লিবিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরও ৯৬৮ অভিবাসী বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে দেশটি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিবিয়া আরও ১৪৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। রাজধানী ত্রিপলির একটি কারাগার থেকে জাতিসংঘ অভিবাসন এজেন্সির সহায়তার তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার চ্যার্টার্ড ফ্লাইটে ১৪৩ অভিবাসীকে নিয়ে একটি বিমান ঢাকায় অবতরণ করেছে। এ ছাড়া আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, গত দুই বছরে চার লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ জন অভিবাসীকে স্থায়ীভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সরকারি তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক বছরে অন্তত ১০ লাখ বাংলাদেশি উন্নত জীবনের আশায় দেশ ছেড়েছেন। ব্র্যাক অভিবাসন বিভাগ ঢাকার প্রধান শরিফুল হাসান আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, তারা ৯৬৮ জন বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফেরত আনতে কাজ করছেন। এসব বাংলাদেশি ভাগ্য বদলাতে ও উন্নত জীবনযাপনের আশায় ইউরোপের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। তবে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভূমধ্যসাগরের বিপদসংকুল পথই ছিল তাদের ভরসা। ব্র্যাকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গত দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে ২০ লাখ অভিবাসী বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে তারা দেশ ছেড়েছেন।
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে গত দুই বছরে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে লিবিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরও ৯৬৮ অভিবাসী বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে দেশটি।
মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি নিহত
মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে তিন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পেনাংয়ের ওই ভবনের নিচে আরও অন্তত নয়জন শ্রমিক চাপা পড়েন বলে দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। সংবাদমাধ্যমটির খবরে আরও জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে নয়টার দিকে ভবন ধসের এ ঘটনা ঘটে। পেনাংয়ের উপ-পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ উসুফ জান মোহাম্মদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আটকা পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছেন। ধসের সময় ঘটনাস্থলে ১৮ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। মোহাম্মদ উসুফ জানিয়েছেন, প্রথমে প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম পড়ে যায়। এরপর আরো ১৪টি বিম ভেঙে পড়ে। মোহাম্মদ উসুফ বলেন, এখন পর্যন্ত তারা নিহত তিনজনকে শনাক্ত করেছেন। তাদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে ও একজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। গুরুতর আহত আরো দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, তাদের ধারণা ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরো চারজন এখনো আটকা আছে। এসব শ্রমিকরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের উপ-পরিচালক জুলফাহমি সুতাজি বলেন, ভবনের কাঠামোর ওজনের কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। ভারী স্থাপনা অপসারণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বড় যন্ত্র প্রয়োজন। অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে।
মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে তিন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পেনাংয়ের ওই ভবনের নিচে আরও অন্তত নয়জন শ্রমিক চাপা পড়েন বলে দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
আয়ারল্যান্ডে প্রথম বারের মতো বাংলা সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত
আয়ারল্যান্ডে গত রোববার প্রথম বারের মতো বাংলা সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাহিত্য সভায় উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকরা প্রবাসে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে ভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রতি মাসে একটি সাহিত্য সভা করাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করেন। প্রবাসী সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান ও কবি সাজেদুল চৌধুরী রুবেলের উদ্যোগে এ সাহিত্য সভা লিমরিকের স্টুডেন্ট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সাহিত্য সভায় প্রথমেই নিজের লেখা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার ডায়েরি’ থেকে পাঠ করেন কথা সাহিত্যিক ড আরমান রহমান। এরপর একাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। তবে সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয় ড শ্যামল ও মিসেস শ্যামল-এর দুই কন্যা যথাক্রমে লিলি ও রোজের আবৃত্তি। সাহিত্য সভায় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি ড শ্যামল, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দ জুয়েল, মাহিদুল ইসলাম সবুজ, ওমর ফারুক নিউটন, সাজেদুল চৌধুরী রুবেল প্রমুখ। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা আবৃত্তি করেন আইরিশ বাংলা টাইমসের সম্পাদক আব্দুর রহিম ভূঞা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করেন মোহাম্মদ মোস্তফা এবং সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান আবৃত্তি করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতা। সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা করেন শাহাদাত হোসাইন ও আবাই এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, কবির আহমেদ, আখতার হোসেন প্রমুখ। সাহিত্য সভায় ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছিল লিমরিক সিটি মেয়র আজাদ তালুকদারের গান। সাহিত্য সভা পরিচালনা করেন সাজেদুল চৌধুরী রুবেল। সভায় উপস্থিত ছিলেন ড আরমান, মিসেস রহমান, ড শ্যামল হোসাইন, ড লুবনা হোসাইন, তাদের দুই তনয়া লিলি এবং রোজ, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, আজাদ তালুকদার,সৈয়দ জুয়েল, শাহাদাত হোসাইন, আখতার হোসেন, আব্দুর রহিম ভুঞা, কবির আহমেদ, মাহিদুল ইসলাম সবুজ, মোহাম্মদ মোস্তফা, ওমর ফারুক রাহাত, ওমর ফারুক নিউটন, আনোয়ারুল হক আনোয়ার, সাজেদুল চৌধুরী রুবেল প্রমুখ।
আয়ারল্যান্ডে গত রোববার প্রথম বারের মতো বাংলা সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাহিত্য সভায় উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকরা প্রবাসে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে ভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রতি মাসে একটি সাহিত্য সভা করাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করেন। প্রবাসী সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান ও কবি সাজেদুল চৌধুরী রুবেলের উদ্যোগে এ সাহিত্য সভা লিমরিকের স্টুডেন্ট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
ইতালিতে অ্যাসাইলাম আবেদনে নতুন আইন
ইতালিতে বর্তমান সরকার নানা উপায়ে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে একের পর এক নতুন আইন করে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীর ঢল থামাতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধীরে ধীরে দেশটিতে কঠিন হচ্ছে অভিবাসী ব্যবস্থা। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল মেলোনি সরকার অভিবাসীদের জন্য একটি আইনের গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশিসহ যে কোনো দেশের অভিবাসীরা যদি ইতালিতে এসে আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন করেন তাকে ৪ হাজার ৯৩৮ ইউরো গুণতে হবে। এই টাকার মাধ্যম হতে পারে কোনো ইন্সুরেন্স বা ব্যাংক। জানা গেছে, কোনো অভিবাসী যদি অ্যাসাইলামের আবেদন করেন আর সরকার যদি কোনো কারণে নাকচ করে দেয় তাহলে পুনরায় আপিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই উল্লেখিত অর্থের নিশ্চয়তা দিয়ে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত থাকতে পারবেন। নয়তো নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে অ্যাসাইলাম আবেদনকারীকে। উল্লেখিত এই অর্থের পরিমাণ চলতি বছরে চলমান থাকলেও পরবর্তীকালে এই অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে প্রকাশিত গেজেটে। এরকম আইনের ফলে ইতালিতে অভিবাসীরা আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। এছাড়া কেউ যদি আশ্রয় পেতে চান তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ব্যয় বহন করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে। তার মধ্যে যানবাহন থেকে শুরু করে বিমান ভাড়া থাকতে হবে। এ বিষয়ে আইনি পরামর্শক ও ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষক রনি হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমি খারাপ দৃষ্টিতে দেখছি না। কারণ সরকার ইতোমধ্যে বৈধভাবে শ্রমিক আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাহলে অবৈধ পথে আসার কী দরকার। চলতি বছরে সাগরপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইতালিতে প্রায় ১৪ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করেছেন। যা একটি দেশের জন্য অনিরাপদ। আর দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই আইন প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি নাগরিক নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন ইতালি সরকার।
ইতালিতে বর্তমান সরকার নানা উপায়ে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে একের পর এক নতুন আইন করে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীর ঢল থামাতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধীরে ধীরে দেশটিতে কঠিন হচ্ছে অভিবাসী ব্যবস্থা।
ইতালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত
ইতালির রোম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া (২৫) নামে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন। জুনায়েদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মো. কবু মিয়ার ছেলে। তার মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রিচি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আব্দাল উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে যাচ্ছিলেন জুনায়েদ। পথে গাড়িচাপায় তিনি আহত হন। পরে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইউপি সদস্য আরও জানান, ওই যুবক জীবিকার তাগিদে প্রায় তিন বছর আগে কয়েকটি দেশ হয়ে ইতালি গিয়েছিলেন। এতে তার পরিবারের ১০ লাখ টাকা খরচ হয়। তারা জুনায়েদের মরদেহটি দেশে আনার জন্য ইতালিতে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
ইতালির রোম শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া (২৫) নামে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছেন।
লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে লিবিয়ার দারনা শহরে বসবাসরত ৬ বাংলাদেশি নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আরও ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া দারনা শহরে বসবাসরত আরও কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লিবিয়াতে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে একথা জানানো হয়। পোস্টে জানানো হয়, এ প্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে লিবিয়ার বিভিন্ন শহরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের তথ্য জানতে এবং ঘূর্ণিঝড়ে নিখোঁজ প্রবাসীদের তথ্য জানানোর জন্য দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার (মোবাইল নম্বর: +২১৮৯১৮৫৮০৯৮৯) সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল বিশেষত দারনা, সাহাত, আল-বাইদা, আল-মার্জ শহর ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে দারনা বাধের ভয়াবহ ধসে সৃষ্ট বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এমতাবস্থায় দারনা শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে লিবিয়ার দারনা শহরে বসবাসরত ৬ বাংলাদেশি নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আরও ২ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া দারনা শহরে বসবাসরত আরও কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে নারিতার রানওয়েতে বিমানকে অভ্যর্থনা
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিমলাইনার বোয়িং-৭৮৭ গাঙচিলের অবতরণ করার সময় জল কামান দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় (স্থানীয় সময়) ঢাকা-নারিতা রুটের বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিজি ০৩৭৬ পৌঁছালে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানটি টোকিও থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে বিমানবন্দরে জলকামানের অভ্যর্থনা দেয়া হয়। জল কামান অভ্যর্থনা হল এভিয়েশন সেক্টরের একটি ঐতিহ্যবাহী শিষ্টাচার যেখানে বিমানবন্দরগুলো নতুন এয়ারলাইনকে সম্মান দেখানোর জন্য উভয় পাশ থেকে জল কামান দিয়ে জলের স্পাউটিং বিমানটিকে ধুয়ে দিয়ে ট্যাক্সিওয়েতে স্বাগত জানায়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম. মাহবুব আলীর নেতৃত্বে বিমানের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে স্বাগত জানান নারিতা বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা। লাউঞ্জে এক স্বাগত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, জাপানের সাথে বিমানের সরাসরি সংযোগ বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক টোকিও সফরে দুই বন্ধু প্রতীম দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার পাশাপাশি সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ককে মূল্য দেবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ফ্লাইটটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে কারণ সরাসরি সংযোগ দুই দেশের মধ্যে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নতুন ফ্লাইটটি বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও বাড়াবে এবং জাপানি পর্যটকদের বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোতে আকৃষ্ট করবে। মাহবুব বাংলাদেশী নাগরিকদের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির যাত্রীদের আকর্ষণ করতে নতুন রুটটিকে লাভজনক করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিমান বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও শফিউল আজিম বলেন, নেপাল ও কলকাতার যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে বিমান ইতোমধ্যেই নারিতা রুটে ব্যাগেজের বেশি ওজন সহ লোভনীয় প্যাকেজ অফার করেছে। বিমান প্রধান বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা কোড শেয়ারিং এর মাধ্যমে জাপান হয়ে অন্যান্য বাহকের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল এবং কানাডায় যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। আজিম বলেন, ‘আমরা অন্যান্য এয়ারলাইনস ইন্টারলিঙ্কিং বা কোড শেয়ারিংয়ের সাথে অনুসন্ধান করছি যাতে আমরা আমাদের যাত্রীদের জাপানের বাইরে ৩৬০ ডিগ্রি এয়ারলাইনের মতো বিভিন্ন রুট অফার করতে পারি।’ তিনি বলেন, বর্তমানে বিমান কোড শেয়ারিংয়ের জন্য জাপান এয়ারলাইন্স লিমিটেড (জেএএল), অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ এবং এয়ার কানাডার সাথে কাজ করছে। কোড শেয়ারিং এর মাধ্যমে বিমান চারটি গন্তব্য-লস অ্যাঙ্গেলস, ভ্যাঙ্কুভার, সিডনি এবং সিউলে পৌঁছানোর কাজ করছে। কোড শেয়ারিং হল একটি বিপণন ব্যবস্থা যেখানে একটি এয়ারলাইন অন্য এয়ারলাইন দ্বারা পরিচালিত একটি ফ্লাইটে তার মনোনীত কোড রাখে এবং সেই ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি করে। সারা বিশ্বে এয়ারলাইনগুলি তাদের বাজারে উপস্থিতি এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতাকে শক্তিশালী বা প্রসারিত করতে কোড-শেয়ার ব্যবস্থা তৈরি করে চলেছে। প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও প্রায় ৪১ হাজার ভারতীয় এবং ১ লাখ ৪০ হাজার নেপালি নাগরিক জাপানে বসবাস করছেন। জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সাল পর্যন্ত জাপানে ২০,৯৫৪ জন বাংলাদেশি বসবাস করছেন। ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এবং ৭৮৭-৯ এয়ারক্রাফট দিয়ে বিমান সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার এবং নারিতা থেকে প্রতি শনি, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট ছাড়বে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিমলাইনার বোয়িং-৭৮৭ গাঙচিলের অবতরণ করার সময় জল কামান দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।
নিউইয়র্কের শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার দাবীতে তিনদিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী
নিউইয়র্কের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার হচ্ছে। শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার আহবান জানিয়ে, তিনদিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করা হলো। ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। গাইবান্ধা সোসাইটি আয়োজিত এবং শাহ্ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা,একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ। শুদ্ধভাবে বাংলা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহন করতে, শেষ দিন গণস্বাক্ষরের প্রতীকী চিঠি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল আহসান এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিখ এডামসের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মানের হাতে তুলে দেয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল দুলালের সভাপতিত্বে দুইদিন আলোচনায় অংশ নেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক মুহম্মদ ফজুলর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার, হুসনে আরা বেগম, সাংস্কৃতিক কর্মী মুজাহিদ আনসারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মিথুন আহমেদ, শাহ ফাউন্ডেশনের সিইও শাহ্ জে.চৌধুরী, প্রগ্রেসিভ ফোরামের জাকির হোসেন বাচ্চু, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট রাব্বী সৈয়দ, সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান, ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিউল আজম প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য দেন গাইবান্ধা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রেজা রহমান। শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য গাইবান্ধা সোসাইটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তারা বলেন, নিউইয়র্কে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নির্বাচন কমিশন, পরিবহন বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর ধরে বাংলা ভাষা ভুলভাবে লেখা হচ্ছে। এসব প্রতিটি বিভাগে তাদের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার জন্য, তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গণসংযোগে অংশ গ্রহন করেন নাজমা শওকত, প্রতীমা সরকার, তানি রহমান, তুহিন মাহফুজ, প্রশান্ত সরকার, মুক্তি সরকার, মনিরুজ্জামান মনির, লিপন প্রমূখ। গণস্বাক্ষর কর্মসূচী বাস্তবাায়ন কমিটির আহ্বায়ক দীলিপ মোদক বলেন, ৫২ সালে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মযার্দা দিতে পেরেছি। সেই ভাষা বিদেশের মাটিতে বিকৃতভাবে হলে,আমরা আহত হই। যার জন্য আমরা ভাষা শুদ্ধ করে লেখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সদস্য সচিব ফাহমিদা চৌধুরী লুনা বলেন, নিউইয়র্ক স্টেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা অশুদ্ধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে,তা রাতারাতি ঠিক করা সম্ভব না। তাই আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনদিনের গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে দেড়সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান আয়োজক সংগঠন। তারা আরও জানান, সিটির মেয়রকে নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বস্তরে বাংলা শুদ্ধভাবে লেখার আহবান জানানোর জন্য নিউইয়র্ক সিটির মেযরকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর চিঠি প্রদান করা হবে।
নিউইয়র্কের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার হচ্ছে। শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার আহবান জানিয়ে, তিনদিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করা হলো। ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন।
যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের শোক দিবস পালন
যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। ওইদিন পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। রোববার (২০ আগস্ট) লন্ডনের শেফিল্ডে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম মোহিদ আলী মিঠুর সভাপতিত্বে ও যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খালেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শেফিল্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজমূল হক বাবলু। এম মোহিদ আলী মিঠু বলেন, ‘ঘাতকরা নারী ও শিশুদেরকেও ছাড় দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে রেহাই দেয়নি।’ বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধুর দিন আর কখনো আসেনি। যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান এবং আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির ইতিহাসে এতো বেদনাবিধুর দিন আর কখনো আসেনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর মনে হয়েছিল- একটা পরিবারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড। একদিকে হত্যাকাণ্ড অন্যদিকে, মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ। বোঝানো হয়েছিল, এটি একটি পরিবার কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড। আড়াই মাস পর জেল হত্যায় স্পষ্ট হয়ে যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, সেটা তারা চাননি।’ ‘আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তিনি হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেন। সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ তার পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন খালেদা জিয়া। খালেদা ও এরশাদ দুইজন মিলে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনেন। এছাড়া শেখ হাসিনাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা করেন তারেক রহমান’, বলেন এম মোহিদ আলী মিঠু। এম মোহিদ আলী মিঠু বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। বাংলাদেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু করতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’ শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. নছিব আলী, হাজী মো. মোবারক আলী, জিতু মিয়া, আলাউর রহমান উজ্জ্বল, শাহ্ হুমায়ুন কবির, নাজমূল হক বাবুল, আবাবুর রহমান মিরন, হাজী মো. ওয়াহিদ আলী, মতিউর রহমান শাহীন, সফিকুর রহমানসহ আরো অনেকে।
যুক্তরাজ্য শেফিল্ড আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল জাতি ও জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। ওইদিন পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
পাকিস্তানে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে মিশনে কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণীপাঠ, আলোচনা, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয়। আজ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সকলের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দূতালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১৫ জন হাফেজের অংশগ্রহণে পবিত্র কোরআনখানির আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী তার বক্তব্যে শোকাবহ এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদগণের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। তার আপোষহীন বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও মৌলিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত ও অর্থনীতিতে পশ্চাৎপদ বাংলাদেশের নেতৃত্ব গ্রহণ করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করে দেশকে একটি দারিদ্র মুক্ত, শোষণ-বঞ্চনাহীন ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেন। তিনি বৈরী বৈশ্বিক পরিবেশে, এ স্বল্প সময়ে ১১৬টি দেশের স্বীকৃতিসহ জাতিসংঘ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ও ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাসিত বঙ্গবন্ধুর নাম ফিরে আসে বাংলার ঘরে ঘরে। বর্বরোচিত এ হত্যাকা-ে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি অন্ধকার অধ্যায় অতিক্রম করে বাংলাদেশ আইনের শাসনের আলোকিত জগতে ফিরে আসে। হাইকমিশনার আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী মহলের ষড়যন্ত্রে কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের এ চক্রান্ত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে সাময়িকভাবে থামিয়ে দিলেও চিরতরে রুদ্ধ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজে করে যাচ্ছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘রূপকল্প ২০২১’ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি জ্ঞানভিত্তিক মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি)’ অর্জন করেছে। গত সাড়ে ১৪ বছরে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বর্তমানে তিনি তার সরকারের ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বনির্ভর, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক অগ্রগতিসহ দারিদ্র বিমোচন, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে তার স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ স্বীকৃতি লাভ করেছে। আলোচনা শেষে ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত ও কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। এ উপলক্ষে মিশনে কালো ব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণীপাঠ, আলোচনা, ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
ইতালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু, আহত ৫
ইতালিতে প্রাইভেটকার ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের আরও পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় দেশটির বাণিজ্যিক নগরী মিলানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম শাহীন শাহীলা (৩১)। নিহতের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম। তিনি স্বামীসহ স্বপরিবারে ইতালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। জানা গেছে, নিহত শাহীলার স্বামী মো. শিবলীসহ স্বপরিবারে ইতালিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দেশটির বাণিজ্যিক নগরী মিলান থেকে সন্দ্রিয় যাওয়ার প্রবেশপথে প্রাইভেটকার ও ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শাহীলা নিহত হন। এসময় গাড়িতে থাকা আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে ঘটনাস্থালে পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।
ইতালিতে প্রাইভেটকার ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের আরও পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে ফের বাংলাদেশি নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দিনের ব্যবধানে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি। নিহতের নাম মোহাম্মদ আবুল হাশিম (৪২), বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। স্থানীয় সময় রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরের কাছে কাসা গ্রান্দে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ১৮ জুলাই দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্টলুইস শহরের হ্যাম্পটন অ্যাভিনিউয়ে একটি গ্যাস স্টেশনে গুলিতে মারা যান বাংলাদেশি ইয়াজউদ্দিন আহম্মদ (২৩)। এ ঘটনার ৫ দিনের মাথায় আরেক বাংলাদেশি আবুল হাশিম গুলিতে নিহত হলেন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, কাসা গ্রান্দে শহরের সানল্যান্ড জিন রোড এবং ওয়েস্ট কংকোর্ডিয়া ড্রাইভের সানলাইট মার্কেটে একটি মুদি দোকানের মালিক ছিলেন হাশিম। ঘটনার দিন ডাকাতির উদ্দেশ্যে দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছলে মেঝেতে হাশিমের নিথর দেহ পায়। ঘটনার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে ঘাতক হিসেবে সন্দেহভাজন এক দুর্বৃত্তকে আটক করেছে পুলিশ। প্রবাসী মাহাবুব রেজা রহিম জানান, ৬ বছরের এক ছেলে, ২ বছরের এক মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় বসতি গড়েছিলেন আবুল হাশিম। তার ৭ ভাই-বোনের সবাই বাস করেন একই শহরে। এদিকে আবুল হাশিমের সন্দেহভাজন এক ঘাতককে গ্রেপ্তারের সংবাদ পাওয়া গেলেও ইয়াজউদ্দিনের ঘাতককে এখন পর্যন্ত খুঁজে না পাওয়ায় কমিউনিটিতে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দিনের ব্যবধানে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি। নিহতের নাম মোহাম্মদ আবুল হাশিম (৪২), বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। স্থানীয় সময় রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরের কাছে কাসা গ্রান্দে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশের আম্রপালির স্বাদে মোহিত স্পেন
আম কূটনীতি’র অংশ হিসেবে স্পেনসহ ৩ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুস্বাদু আম্রপালি আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অন্য দুই দেশ হলো দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র অ্যান্ডোরা ও মধ্য আফ্রিকার দেশ ইক্যুয়েটরিয়াল গিনি, যা আগে স্প্যানিশ উপনিবেশ ছিল। মঙ্গলবার ও বুধবার (১৮-১৯ জুলাই) বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপে, প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ, ২ উপপ্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে আম পৌঁছে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বাধীন দেশ অ্যান্ডোরা ও ইক্যুয়েটরিয়াল গিনির রাষ্ট্রপ্রধান, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে বাংলাদেশের সুস্বাদু আম্রপালি আম উপহার পাঠানো হয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি এক বিবৃতিতে বলেন, স্পেন, এন্ডোরা ও ইক্যুয়েটরিয়াল গিনিতে আমাদের সম্মানিত বন্ধুদেরকে বাংলাদেশের বিখ্যাত আম উপহার দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের বিশ্বাস, এই স্মারক উপহার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সংহতকরণে অনুঘটকের ভূমিকা পালনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতি ও জনকূটনীতির বৃহত্তর পরিসরে ‘বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং’ সহ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল বিপণন এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যের বাজার সৃষ্টিতে সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ বহুমাত্রিক সম্পর্ক ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, শুভেচ্ছা ও বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে দূতাবাসের আম বিতরণ উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন উপহারগ্রহীতা স্পেনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আম কূটনীতি’র অংশ হিসেবে স্পেনসহ ৩ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুস্বাদু আম্রপালি আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অন্য দুই দেশ হলো দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের ক্ষুদ্র রাষ্ট্র অ্যান্ডোরা ও মধ্য আফ্রিকার দেশ ইক্যুয়েটরিয়াল গিনি, যা আগে স্প্যানিশ উপনিবেশ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউকের নতুন কমিটি গঠন
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউকের তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ জুলাই লন্ডনের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল হক। প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন বিদায়ী সেক্রেটারি জেনারেল সলিসিটর আনোয়ার কবীর খান। সভায় আগামী মেয়াদের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও সাহিত্যিক কচি কবির, জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হন কাউন্সিলর খালেদ মিল্লাত এবং ট্রেজারার নির্বাচিত হন চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট অজিত কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ড. সিরাজুল হক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রহমান জিলানী, প্রফেসর ডাঃ মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধীর রঞ্জন দাস (তনু), ভাইস প্রেসিডেন্ট নসিরুল্লা খান জুনায়েদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সলিসিটর সিনথিয়া দাস, আশরাফ জামান, আবদুল হাকিম ভুঁইয়া, বুলবুল আহমেদ, কাউন্সিলর সাইমা আহমেদ, শামীমা বেগম মিতা, মিনারা সুলতানা, সলিসিটর হালিম বেপারী, ড. আবদুল আউয়াল, ডা. মাসুমা আকতার, ডা. শম্পা দেওয়ান প্রমুখ।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউকের তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৯ জুলাই লন্ডনের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল হক। প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন বিদায়ী সেক্রেটারি জেনারেল সলিসিটর আনোয়ার কবীর খান।
বাংলাদেশি বন্ধুকে খুন, ৮ বছর পালিয়ে থাকার পর বিচারের মুখে যুবক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি এক নাগরিককে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক মিয়ানমারের নাগরিক এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর আট বছর পলাতক ছিলেন তিনি। পরে শেষমেষ তাকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করতে আদালতে পাঠানো হয়। নিহত বাংলাদেশি নাগরিক অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বন্ধু ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর ধরে পলাতক থাকার পর মিয়ানমারের একজন নাগরিককে বিচারের মুখোমুখি করতে অবশেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ২০১৫ সালে তার বাংলাদেশি বন্ধুকে হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিউ স্ট্রেইট টাইমস বলছে, আট বছর আগে নিহত ওই বাংলাদেশি যুবকের নাম উজ্জল আলী (২৮)। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আজিব খাম। ৩৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পান্ডান চাহায়া এলাকার কাছে উজ্জল আলীকে হত্যা করেন। এই ঘটনার পর আট বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন এবং অবশেষে গত জুন মাসে তাকে আটক করা হয় ও বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদিন আমপাং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার অভিযোগে আজিব খামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ স্ট্রেইট টাইমস। মালয়েশীয় এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিযুক্ত আজিব খামকে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ধারায় কোনো আসামিকে সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কালো শার্ট পরে আদালতে হাজির করা অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে সেখানে বেশ শান্ত দেখাচ্ছিল। অবশ্য অভিযুক্তের কাছ থেকে কোনো আবেদন নথিভুক্ত করা হয়নি এবং ম্যাজিস্ট্রেট নরমাইজান রহিম ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য মামলার পুনরায় শুনানির তারিখ আগামী ৩ অক্টোবর ধার্য করেন। ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নুরুল আমিরা সাম কামরুদ্দিন প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এবং আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আমপাং পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার মোহম্মদ আজম ইসমাইল বলেছেন, বাংলাদেশি যুবককে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি আবর্জনা সংগ্রহকারী হিসাবে কাজ করেন এবং গত ২৩ জুন রাত সাড়ে ১২টায় পেনাংয়ের বুকিত মারতাজামের কাছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, তদন্ত অনুসারে- সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত যুবকের কর্মস্থলে যান এবং বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে তাকে হত্যা করেন। ঘটনার সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত ছিল এবং নিহত যুবককে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।’ মোহম্মদ আজম আরও বলেন, সেই ঘটনার পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে আমপাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আঘাতের কারণে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি এক নাগরিককে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক মিয়ানমারের নাগরিক এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর আট বছর পলাতক ছিলেন তিনি।
মালয়েশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ চার বাংলাদেশির মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে চার বাংলাদেশি মারা গেলেন। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সারডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. সাইফুল ইসলাম। তার বয়স ৪২ বছর এবং বাড়ি যশোরে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে সাইফুলের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছিল। রোববার ভোর ৫টায় মালয়েশিয়ায় থাকা সাইফুলের নিকট আত্মীয় খালিদ হাসান রিপনের কাছে ফোনে সাইফুলের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানানো হয়। রিপন সকাল ৮টায় হাসপাতালে ছুটে যান। সেখান থেকে রিপন ফোনে জানান, সাইফুলের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। ঠিক সাড়ে ১০টায় হাসপাতাল থেকে ফোনে রিপন জানান সাইফুল মারা গেছেন। সাইফুলের মৃত্যু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের বান্ডারবারু বাঙ্গির তামান ইন্ডাস্ট্রি সোলেমানের জুমু এসডিএন বিএইচডি নামের একটি ছাপাখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলেই ঝিনাইদহের লিটন (৩৪) ও পাবনার মোরাদ আলী মোল্লা (৩৮) মারা যান এবং দগ্ধ চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সারডাং হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৬ জুন সারডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনির উজ্জামান (৪২)। দুর্ঘটনায় নিহত লিটনের বাড়ি ঝিনাইদহে, মেরাদ আলীর বাড়ি পাবনায়, মনির উজ্জামানের বাড়ি যশোরে এবং মো. সাইফুল ইসলামের যশোরে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজা (২৯)। বাবলু রহমান (৪৪) চিকিৎসা নিয়ে শনিবার বাসায় ফিরেছেন। তাদের দুইজনের বাড়িও যশোরে।
মালয়েশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ চার বাংলাদেশির মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে চার বাংলাদেশি মারা গেলেন। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সারডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. সাইফুল ইসলাম। তার বয়স ৪২ বছর এবং বাড়ি যশোরে।
নিউইয়র্কে দু’দিনব্যাপী ‘উত্তর আমেরিকা রবীন্দ্র উৎসব’
নিউইয়র্কে দু’দিনব্যাপী ‘উত্তর আমেরিকা রবীন্দ্র উৎসব’ শেষ হয়েছে। ৬ মে শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন একুশে পদক প্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন নবী। দ্বিতীয় দিন ৭ মে সকাল ১১ টায় সাহিত্য সম্মেলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আলোলিকা মুখোপাধ্যায় (ভারত), বিশেষ অতিথি পুরবী বসু (বাংলাদেশ)। দুইদিনের বিভিন্ন পর্ব উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী মতলুব আলী, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, চিত্রশিল্পী খুরশিদ আলম সেলিম,ড.পূরবী বসু প্রমূখ। ভারত, বাংলাদেশ, ব্রিটেন, জার্মানী, কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে থেকে কবি, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, কলাকুশলী ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা অংশ নেন। এ ছাড়াও বাংলাদে ও ভারতের অন্তত: ১৫টি সংগঠন অংশ নেন। টানা দুইদিন মোট ৫৪টি অনুষ্ঠান দিয়ে সাজানো হয়েছিল এই উৎসব। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য অনুষ্ঠান ছিল তথ্যচিত্র ‘শিল্পীর চোখে রবীন্দ্রনাথ’,ও ‘ভিনদেশীর চর্চায় রবীন্দ্রনাথ’, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ‘রুপের অতীত রুপ’ নাটক ‘রক্তকরবী; ও ‘শেষের কবিতা’, নৃত্যনাট্য-তাসের দেশ (ইংরেজীতে), ‘কার মিলন চাও বিরহী’, ‘ভানু সিংহের পদাবলী’ ‘ওরা সন্ধ্যার মেঘমালা’ মহিতোষ তালুকদারের পরিচালনায় ‘শতকন্ঠে গান’ ফ্যাশন শো- ‘বসনে ভূষণে রবির চয়নে’, বিতর্ক: আমিই রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ চরিত্র, চন্দ্রীল ভট্টাচার্যের স্মারক বক্তৃতা,‘আলোয় ভুবন ভরা’, ‘আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রনাথ’। উৎসবে বিভিন্ন পর্বে অংশ গ্রহন করেন ড. গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পীভাক , ডা. মো: মনিরুল ইসলাম (বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল),রনধীর জয়সুয়াল (ভারতের কনসাল জেনারেল),ভাষাবিজ্ঞানী ড.পবিত্র সরকার,সাংবাদিক সৈয়দ মুহাম্মদ উল্লাহ ও মনজুর আহমদ,কবি নাজমুন নেছা পিয়ারী,তার্কিক চন্দ্রীল ভট্টাচার্য, ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ,লেখক হাসান ফেরদৌস,সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, রনদেব সরকার, লেখক আলোলিকা মুখোপাধ্যায়, তার্কিক রাহাত হোসেন নাজু, হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ,ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর,সংস্কৃতজন সউদ চৌধুরী, শিল্পী শ্রেয়া গুহ ঠাকুরতা প্রমূখ। রবীন্দ্র উৎসবে ভারত, বাংলাদেশ, ব্রিটেন, জার্মানী, কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত: ২৫টি অঙ্গরাজ্য থেকে কবি, লেখক, সাহিত্যিক, শিল্পী, কলাকুশলী ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা অংশ নেন। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ১৫টি সংগঠন এই আয়োজনের সাতে সম্পৃক্ত ছিল। এই আয়োজনে আহবায়ক হাসানুজ্জামান সাকী ও সদস্য ছিলেন পিনাকী তালুকদার, গোপাল স্যানাল, স্বীকৃতি বড়ুয়া, আব্দুল হামিদ ও সুখেন গোমেজ। উৎসব প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় রবি ঠাকুরের একটি ভাস্কর্য। দুইদিনের ব্যতিক্রমী আয়োজনে উপচে পড়া ভীড় ছিল।
নিউইয়র্কে দু’দিনব্যাপী ‘উত্তর আমেরিকা রবীন্দ্র উৎসব’ শেষ হয়েছে। ৬ মে শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন একুশে পদক প্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন নবী।
দেশে ফিরিয়ে না আনলে আত্মহত্যার হুমকি
সংসারে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামী সেলিম মিয়া স্ত্রীকে রিক্রটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠান। সেখানে বাসার কাজের বিনিময়ে এক হাজার রিয়েল বেতন দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর তাকে নানাভাবে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। যৌন নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে দেশে স্বামীর কাছে গোপনে ফোনে বিষয়টি জানান। এ বলে ফিরে আনতে দেরি হলে স্ত্রী সেখানে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। স্ত্রীর নির্যাতনের খবর শুনে স্বামী চায়না মার্কেটের ট্রাভেল এজেন্সিতে গিয়ে অভিযোগ করে কোন কাজ হয়নি। উল্টো আরও টাকা দাবি করেেছ। অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে এয়ারপোর্ট-১৩ আর্মড পুলিশ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করে নির্যাতনের ঘটনা জানান। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার রাতে আর্মড পুলিশের টিম পল্টন থানার কাছে চায়না মার্কেটে লিফটের- ১২তে রিক্রুটিং এজেন্সি স্টার লাইন এসোসিয়েট অফিসে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ মো. মানসুরুল হক ও মো. রাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশের কমান্ডিং অফিসার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তোফায়েল আহম্মদ সংবাদকে জানান, অভিযুক্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে ওই গৃহবধূকে সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজ দিয়ে এক হাজার রিয়েল বেতনের কথায় পাঠিয়েছে। তারা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ও ছাড়পত্র (স্মার্টকার্ড) ছাড়াই এয়ারপোর্ট কণ্ট্রাক করে গত ২ ফেব্রæয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম আরআর শহরে স্টারলাইন এসোসিয়েটে রিক্রুটিং এজেন্টের কাছে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে যাওয়ার পর সেখানকার গৃহকর্তা তার স্ত্রীকে প্রতি নিয়ত যৌন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছেন। ঠিকমতো খাবার না দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কাজ করাচ্ছেন। সৌদি আরবে বর্বর নির্যাতনের কারণে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দ্রæত সময়ের মধ্যে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। স্ত্রীর এমন কথা শোনার পর স্বামী ওই আদম বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে তার কথায় পাত্তাও দেয়নি। বারবার হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করে স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বললে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে। এরপর স্বামী সেলিম মিয়া উক্ত ঘটনা এয়ারপোর্ট (১৩) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কাছে অভিযোগ করেন। ব্যাটালিয়নের সাইবার সেল ও গোয়েন্দা টিমের সহযোগিতায় গত সোমবার রাতে পল্টন চায়না মার্কেটের উপরে ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে দুই প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এইভাবে সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী ও ট্রাভেল এজেন্সির অসাধু কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে দেশের দরিদ্র পরিবারের নারীদেরকে ফুসলিয়ে ও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠায়। সেখানে তাদের ওপর চলে নানাভাবে নির্যাতন। অনেকেই দেশে ফিরে নির্যাতনের বর্বর কাহিনী তুলে ধরেন। এরপরও থামছে না মানব পাচার। থানা পুলিশ অনেক অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করায় অবশেষে আর্মড পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। স্বামী সেলিম মিয়া তার মামলার এজাহারের শেষাংশে তার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন। আর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয় তার জন্য সহায়তা চেয়েছেন।
সৌদি আরবে গৃহকর্মীকে নির্যাতন
‘সুদিনের স্বপ্ন’ ফেলে আতঙ্ক পেরিয়ে অনিশ্চিতে
সংঘাতপূর্ণ সুদানে আটকে পড়া ১৩৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন গত সোমবার। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশিদের। অনেকটা মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন অনেকেই। আর বেশির ভাগই সেখানে লুটপাট-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দেশে ফিরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সুদান ফেরত বাংলাদেশিরা। এদিকে, শ্রমিক হয়ে যারা গিয়েছিলেন সশস্ত্র সংঘাতের পর তাদের কেউ কেউ কোন রকমে যেন পালিয়ে বেঁচেছেন সুদান থেকে, ফিরেছেনও একেবারে খালি হাতে। নিশিকান্ত বিশ্বাস তাদেরই একজন। সংঘাতে বিশৃঙ্খল দেশটি থেকে ফিরিয়ে আনাদের প্রথম দলের সঙ্গে ফ্লাইট থেকে ঢাকায় নেমে হাঁটছিলেন খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে। গত সোমবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিশিকান্ত বললেন, ‘ওরা-ওরাই, সুদানিরাই মারামারি করতিছে। পাবলিক সামনে পালিই মারতিছে। লুটপাট, ডাকাতি করতিছে। কাইড়ে-কুইড়ে নিচ্ছে, ডাকাতি কইত্তিছে। খাওয়ার কিছু নেই। আমার স্বর্বস্ব নিয়ে গেছে। পায়ে মারছে। মোবাইলটা বাঁচাইতে চাইছিলাম। পায়ে বারি দিচ্ছিল। আমার পায়ে সমস্যা হয়ে গেছে।’ আতঙ্কের সময়গুলো পেছনে ফেলে দেশে আসতে পেরে স্বস্তি পেলেও সামনের দিনগুলোর কথা ভেবে চিন্তাভাবনার কোন খেই পাচ্ছেন না তিনি। জানুয়ারিতে দালাল ধরে গেলেন সুদানে, পাঁচ মাস না যেতেই ফিরতে হলো তাকে। কপাল ফেরার বদলে তার ভাগ্যে নেমেছে ঘোর অমানিষা। তার মতো দুর্ভাগ্যের কথা শোনালেন ভাগ্য বদলাতে স্বামীর সঙ্গে আট বছর আগে সুদান পাড়ি দেয়া চট্টগ্রামের হালিশহরের সাকি আক্তার। কোলের তিন মেয়ে আর নিজের জীবন সঙ্গে করে আরেক অনিশ্চিত জীবনে ফিরতে হওয়ায় কাতর শোনালো তার কণ্ঠও। জানালেন সঙ্গে আনতে পারেননি সেখানকার সংসারের কিছুই। সংঘাতে এলোমেলো সুদানে রয়ে গেছেন তার স্বামী মোহাম্মদ বাহাদুর। এত বলার পরও তাকে সঙ্গে আসতে রাজি করাতে পারেননি। পোর্ট সুদানে সন্তান ও স্ত্রীকে জেদ্দাগামী উড়োজাহাজে তুলে দিয়ে বিদায় দেয়ার সময়ও বাহাদুর আশায় রয়েছেন, সেখানকার পরিস্থিতি ভালো হবে। তিনি খার্তুমে ফিরবেন তার ব্যবসার স্থলে। ভয় আর আতঙ্কে মুষড়ে যাওয়া তিন বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরার পর কান্না বিজড়িত কণ্ঠে নিজের স্বামীকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলছিলেন সাকি। ‘আমার স্বামী এখনও আসে নাই। ও ওখানেই আছে। সব কিছু শেষ। আমি ওরে ফেলে আসতে চাই নাই। অনেক বলসি চলে আসো। আসলো না। আমি পারলে এক বেলা খাইলে আরেক বেলা খাব না, তবুও চলে আসো। তুমি থাকলে আমার খাওয়ার অভাব নাই।’ সশস্ত্র সংঘাত ঘেরা সুদানের রাজধানী খার্তুমে ১৫ বছর ধরে ছোট ব্যবসা করা বাহাদুরের অর্থ আর ভবিষ্যতের চিন্তার কাছে হার মেনেছে স্ত্রীর এমন আকুতি। সাকি বলেন, ও আমার কথা শুনলো না। বলতেছে, আমি যদি এভাবে চলি যাই, আমার তো কিচ্ছু নাই, আমি সম্পূর্ণ নিঃস্ব। এই অবস্থায় চলে গেলে আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ কী হবে। আমার তিনটা মেয়ে আমি কীভাবে কী করব, তাদের খরচ কই থেকে দেব। সুদানের দুই বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে খার্তুম থেকে গত ২ মে রাতে পোর্ট সুদানে পৌঁছান ৬৮২ বাংলাদেশি, সেখানে তাদেরকে একটি মাদ্রাসায় অস্থায়ীভাবে রেখে ফেরানোর কার্যক্রম চলছে। শুরুতে পোর্ট সুদান থেকে জাহাজে করে জেদ্দায় আনার কথা ছিল এসব প্রবাসীকে। শেষ পর্যন্ত সৌদি বিমানবাহিনীর ফ্লাইটে তিন দফায় ১৩৬ জনকে অন্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে জেদ্দায় পাঠানো হয়। প্রথম দল হিসেবে সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে গত সোমবার সকালে তারা ঢাকায় ফেরেন। প্রথম দফায় সুদান ছাড়তে পারা প্রবাসীদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস। গত ১৫ এপ্রিলে সুদানে সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে নাগরিক পরিষেবা। বিমানবন্দরে সুদান প্রবাসীদের ফেরার সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। সেখানকার শ্রমিক ও অন্যদের দুর্দশা ও অনিশ্চিত জীবনের কথা শুনে তিনি বলেন, ‘আপনারা এসেছেন, পরবর্তীতে সুদানের অবস্থা ভালো হলে আপনারা আবার যেতে পারবেন। এর বিকল্প হিসেবে অন্য কোন দেশে যদি যাওয়ার ব্যবস্থা হয়, তাহলে আমরা সেই ভাবে ব্যবস্থা করব। আপনাদের পুনর্বাসনের জন্য আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আছে, আমরা একটা নীতিমালা ঠিক করে দিলে আপনারা ওখান থেকেও সাহায্য নিতে পারবেন। সশস্ত্র সংঘাতের উৎকণ্ঠার মাঝে এমন নানা অনিশ্চয়তার গল্প নিয়ে তিন সপ্তাহ ওই দেশে আটকে থাকার পর সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশিদের প্রথম দল। সেই দলের কেউ সুদানে জমানো সব অর্থ হারিয়েছেন, জামা, প্যান্ট, চাল-ডাল-আলু পর্যন্তও সংঘাতের বাজারে লুট হয়েছে, কেউ কেউ পাননি বেতন-বোনাস, ফিরেছেন শুধু লুঙ্গি আর বিছানার চাদর সঙ্গে করে। এসব প্রবাসীর মনে এখন ফেলে আসা আতঙ্ক আর সামনের অনিশ্চিত যাত্রার শঙ্কা। স্বামীকে সুদানে রেখে আসা সাকি বলেন, ‘ও বলতেসে, ‘আমি দেশে গিয়ে আর কী করবো। আমাদের সব শেষ। আগে দেখি তোমরা যাও পরিস্থিতি ভালো হলে তো আমি আবার খার্তুমে চলে গেলাম। আর ঠিক না হলে তো আমাকে নিঃস্ব হয়েই চলে আসতে হবে।’ ‘আমাদের সব শেষ হয়ে গেল।’ দালালের মাধ্যমে পাঁচ মাসের মধ্যে সুদানে গিয়ে একেবারে খালি হাতে ফেরা নিশিকান্ত জানান, জানুয়ারিতে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্নে দালালের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা বেতন পাবেন জেনে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে গিয়েছিলেন সুদানে। তবে ২৫ হাজার টাকা বেতনে কাজ পান এক টাইলস কারখানায়। কপাল ফেরার বদলে তার ভাগ্যে নেমেছে ঘোর অমানিশা। তার ভাষ্য, ‘একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। ভাঙতি মাসের আট দিনের বেতন পাইছিলাম আর কিচ্ছু পাই নাই। চাল-ডাল-আলু, যা পাইছে, সব নিয়ে গেছে। আমার সর্বস্ব নিয়ে গেছে। আমাদের ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন ৫০০-৬০০টি গুলি পড়তো। যুদ্ধ বাঁধিছে পরে আর খাওয়া-দাওয়া নাই। পরে সৌদি আইসা দুডো ভাত খাইছি। আমি এখন কী যে করুম কিচ্ছু জানি না। লক্ষ্মীপুরের মান্দারির সবুজও সুদান গিয়েছিলেন সুদিনের স্বপ্নে। তবে ফিরেছেন দুঃস্বপ্নকে সঙ্গী করে। পরনের প্যান্ট গেঞ্জির সঙ্গে ব্যাগে করে আনতে পেরেছেন শুধু পুরনো একটি লুঙ্গি আর বিছানার চাদর। সবুজ বলেন, ‘আমরা রওনা দিছি রোববার রাত নয়টার দিকে। দুইটার দিকে জেদ্দায় আসছি। সেখান থেকে আমাকে একটা মাদ্রাসায় আনলো। এরপরে দেশে আনছে। আমি কিচ্ছু নিয়া আসতে পারি নাই। ‘আমি যে এখন বাড়ি যাব সেই গাড়ি ভাড়াটাও আমার কাছে নাই। আমাদের দুই মাসের বেতন, বোনাস কিছু পাই নাই। কোম্পানি বলে তোরা থাক। ওরা মনে করতাছে, আমরা থাকলে তার কোম্পানি পাহাড়ায় থাকল।’ ‘আতঙ্কে-নির্যাতনে কেটেছে দিন’ চার মাসের এক শিশুকে কোলে নিয়ে সুদান থেকে ফিরেছেন সাহারা বেগম। আতঙ্কের ঘোর কাটছিল না তার। তিনি বলেন, ‘এই বাচ্চা নিয়ে প্রচন্ড গোলাগুলির মধ্যে ছিলাম। নানা দিক থেকে এসে গুলি পড়তো। ভয়ানক আওয়াজ, পরিস্থিতি ওখানে খুবই খারাপ।’ পানি-বিদ্যুৎ-খাবার কোন কিছু ছাড়া গোলাগুলি আর বোমা বিস্ফোরণের মাঝে কী আতঙ্কে দিনগুলো কাটিয়েছেন তা বর্ণনা করলেন সাকি আক্তার। বললেন, ‘অনেক খারাপ অবস্থা, অনেক গোলাগুলির ভেতরে ছিলাম। আমাদের নাওয়া ছিল না, খাওয়া ছিল না। ঘরের ভেতরে পানি বিদ্যুৎ-কিছুই ছিল না। অনেক কষ্টে ছিলাম আমরা ওখানে। বাচ্চাদের নিয়ে খুব আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়েছে। খুবই আতঙ্কে ছিলাম ঘুমাইলেই বুমের শব্দ, গুলির শব্দ। বোমা যে মারে, তাতে আমার বাসা পুরা আলোকিত হয়ে যায়। এর মাঝেই প্রাণ হারানোর শঙ্কা নিয়ে দেশে ফিরতে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে যাত্রা করেন তারা। সেই যাত্রাও ছিল শ্বাপদসঙ্কুল। সাকি আক্তার বলেন, ‘এরপরে আমাদের টাইম দিল শারিয়া আল সিত্তিন (খার্তুমের বাসছাড়ার স্থান) যাওয়ার জন্য। আমাদের এই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে রাত সাড়ে তিনটা চারটার সময় বের হতে হতো। কিন্তু এমন পরিস্থিতি যে রাতে বের হওয়া যেত না। এরপরে একটা হোটেলে যেতে বলল। সেখানে অনেকটা সময় আটকে ছিলাম। আমাদের গেটের সামনে অনেক গোলাগুলি। আমরা আবার ভয় পেয়ে গেছি, কোন খাবার নাই, শুধু পানি, বাচ্চাদের খাওয়ার কিছু নেই। এখানে যদি আটকে যাই।’ নিশিকান্তের মতো মারধর আর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সবুজও। তিনি বলেন, ‘ওইখানের অবস্থা ভাই কী বলবো, ভয়াবহ। আমরা একটা ঘরে ৬০ জন ছিলাম। আমাদের সবকিছু ওরা নিয়ে গেছে। মারধর করছে। আমার পিঠে লাঠি দিয়া মারছে। এই দেখেন, দেখেন। আমাদের বেডশিট পর্যন্ত নিয়ে গেছে।’ আবদুল কাশেম নামে সুদান ফেরত আরেক প্রবাসী বলেন, ‘এক রুমে কোন খাবার দাবার ছাড়া তিন দিন বন্দী ছিলাম। খুবই ভয়ঙ্কর। দুই বাহিনীই সেখানে শক্তিশালী। প্রশাসনিক বাহিনী গেলে পরে আবার আসে সন্ত্রাসবাহিনী। ওরা আইসা সব লুট কইরা নিয়া যায়। আমি কিচ্ছু আনতে পারি নাই। একটা টাকাও না। মোবাইলটাও না। এক কাপড়ে দেশে আসছি। ‘আমাদের এখন কী হবে?’ সুদান থেকে প্রথম দফায় যে ১৩৬ জন বাংলাদেশি ফিরেছেন তাদের কেউ কেউ সুদানে বিভিন্ন কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন কেউবা করতেন ছোট ব্যবসা। দেশ থেকে পুঁজি জড়ো করে তারা সুদান গিয়েছিলেন নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে। তবে এই সংঘাত পরিস্থিতিতে পড়ে তারা এখন শঙ্কায় পড়েছেন ভবিষ্যৎ নিয়ে। নির্যাতনের শিকার হয়ে ফেরা নিশিকান্ত বলেন, ‘আমাদের এখন কী হবে? আমি যে এখন কী করবো তা তো জানি না, ওইখানে যুদ্ধ যে চলতেছে কোন থামাথামি নাই। আমি তো সব টাকা দিয়ে ওই দেশে গেছি। এখন তো আমার কিছু নাই। সামনের দিন কীভাবে কাটবে জানি না।’ লক্ষ্মীপুরের সবুজ বলেন, ‘আমরা তো তাও দেশে ফিরছি। ওইখানে এখনও অনেক বাঙালি ভাই আটকা। তাদের কী হবে। আপনারা তাদের নিয়া আসেন। ওইখানে গিয়ে তো সব হারাইছি, কিছুই নিয়ে আসতে পারি না, আমাদের কী হবে তা জানি না।’ চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে সুদানফেরত এসব প্রবাসীদের ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর সময় প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড তাদের প্রত্যেকের হাতে তিন হাজার টাকা তুলে দেয়। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওম) থেকে দেয়া হয় দুই হাজার টাকা ও খাদ্য সহায়তা।
সুদানে লুটপাট-নির্যাতনের শিকার হয়ে ফিরেছেন তারা
বাসের ধাক্কায় চুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নরসিংদীর বাড়ীতে কান্নার রোল
বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থী শান্ত সাহার (২২) লাশ নরসিংদীতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়ার সেবাসংঘ এলাকায় বাড়িতে তার লাশ পৌঁছায়। এ সময় তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরিবার সূত্রে জানা যায়,ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের ছুটি কাটিয়ে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন শান্ত। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শান্তর সহপাঠীরা তার বড় ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা কৌশিক সাহার মুঠোফোনে মৃত্যুর খবর জানান। তিন ভাইয়ের মধ্যে শান্ত সবার ছোট। তার মেজভাই ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সকালে বাড়িতে লাশ পৌঁছার পর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন শান্তর মা শিউলি সাহা। বুকে-কপালে চাপরাচ্ছেন, আর কান্না করছেন। আহাজারি করে বলছেন, ‘আমার সোনার চাক্কা আর নাই, আমিও আর বাঁচতে চাইনা। পোলাই ঞ্জিনিয়ার হইয়া বিদেশে যাইব। আমারেকইছিল, “মাগো, তোমারে বিদেশে নিয়াগিয়াচিকিৎসাকরামু।”আমারইঞ্জিনিয়ারপুতে গেল কই? আমারে কে বিদেশ নিয়া যাইব ? আমার পোলারে আইন্যা দেও তোমরা।’শান্তর লাশ দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীরাও কাঁদতে শুরু করেন। এ সময় তারা মাশি উলি সাহাকে শান্তনা দেয়ার ভাষা খুজে পাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা জানান, শান্তর লাশ আনতে তারা চট্টগ্রামে যেতে চেয়েছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয়, ময়না তদন্ত শেষে ফ্রিজিংগাড়িতে করে তার লাশ নরসিংদীতে পৌঁছে দেওয়া হবে। কোনো অভিযোগ নেই, মামলাও করতে চাননা জানিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করার অনুরোধ জানান। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে সোমবার রাত ১০টার দিকে লাশবাহী গাড়ি নরসিংদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে লাশ নরসিংদীর বাড়ীতে এসে পৌঁছায়। লাশ নিয়ে এসেছেন শান্তর হলের দুই সহকারী প্রভোস্ট মাসুম রানা ও সামিউন বশির এবং সাতজন সহপাঠী। চুয়েটে পড়ুয়া শান্তর স্কুল জীবনের বন্ধু সৈকত শাহরিয়ার জানান, ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু হলের চারতলার একটি কক্ষে থাকতেন শান্ত। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসে মোটর সাইকেল চালানো শিখছিলেন তিনি। ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরার পরদিন (সোমবার) দুটি ক্লাস করে দুপুরে তার হলের এক বড় ভাইয়ের মোটর সাইকেলটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল বিভাগের দুই ছোট ভাই। ফেরার পথে মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় একটি যাত্রীবাহী বাস। নরসিংদী জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল ঘোষ বলেন, ‘শান্ত সাহার মতো এমন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তার মা-বাবাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষাও খুঁজে পাচ্ছিনা। এভাবে কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।’
বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থী শান্ত সাহার (২২) লাশ নরসিংদীতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়ার সেবাসংঘ এলাকায় বাড়িতে তার লাশ পৌঁছায়। এ সময় তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ক্যান্সারে টেলিযোগাযোগ নীতি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খানের মৃত্যু
আজ সোমবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে মারা গেছেন টেলিযোগাযোগ নীতি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান মারা গেছেন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর বয়স। তিনি সর্বশেষ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলভিত্তিক টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পলিসি ফেলো ছিলেন। দুপুরে সিএমএইচ মসজিদে আবু সাঈদ খানের জানাজা হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। তিনি ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় এরিকসনের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রধান কার্যালয়ে স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিস্ট ছিলেন। দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) প্রথম মহাসচিব ছিলেন আবু সাঈদ খান ২০১০-১২ মেয়াদে। ইএমসি ওয়ার্ল্ড সেল্যুলার ডাটাবেইজের রিসার্চ অ্যানালিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন আবু সাঈদ খান। সে সময় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের মোবাইল বাজার নিয়ে তিনি কাজ করেন। তিনি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন, বিশ্ব ব্যাংক, এরিকসন, হুয়াওয়ে, এডিএন গ্রুপের হয়েও কাজ করেছেন। আবু সাঈদ খান এক সময় টেলিকম খাত নিয়ে সাংবাদিকতাও করেছেন।
আজ সোমবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে মারা গেছেন টেলিযোগাযোগ নীতি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান মারা গেছেন। দীর্ঘদিন যাবত তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ মাস্টার মারা গেছেন
মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, ১নং দুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মোগলটুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মুক্তাগাছা উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ মাস্টার(৮৫) মঙ্গলবার রাত ৯টায় উপজেলার চন্ডিমন্ডপ গ্রামে নিজ বাড়ি ইন্তেকাল করেছেন। তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার বাদ জোহর চন্ডিমন্ডপ ঈদগাহ মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। জানাজা নামাজে জাতীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেসামুল আলম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ, মুক্তাগাছা পৌর সভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরব আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, মধুপুরের শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাসেম, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মশিউর, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, ১নং দুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, মোগলটুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মুক্তাগাছা উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ মাস্টার(৮৫) মঙ্গলবার রাত ৯টায় উপজেলার চন্ডিমন্ডপ গ্রামে নিজ বাড়ি ইন্তেকাল করেছেন। তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক সৈয়দ আহমেদ অটল মারা গেছেন
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক করতোয়ার প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক সৈয়দ আহমেদ অটল মারা গেছেন। গতকাল সকালে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাদ জুমা প্রথমে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা হয়। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সৈয়দ আহমেদ অটলের ছেলে রাফসান জানি জিসান বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে তার বাবা সৈয়দ আহমদ অটল শারিরীক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। প্রথমে কয়েকদিন বাসা থেকে চিকিৎসা নিলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে পরে আসগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। সৈয়দ আহমদ অটলের জন্ম বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ। তিনি ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। বাম আদর্শ অনুসারী সৈয়দ আহমেদ আটল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিটে কাজ করতেন। বগুড়ার চকযাদু প্রাইমারি স্কুল, বাংলা স্কুল, সরকারি আযিযুল হক কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে লেখাপড়া করেন। ছাত্র অবস্থায় তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী সৈয়দ আহমেদ অটল পেশা হিসেব বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়ায় ১৯৭৮ সাল সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। সেখান থেকে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠাতা বার্তা সম্পাদক হিসাব দৈনিক উত্তরাঞ্চলে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে আবারও দৈনিক করতোয়ায় (ঢাকায়) যোগদান। ঢাকায় দীর্ঘদিন রিপোর্টার হিসেব কাজ করার পর ২০০৮ সালে করতোয়ার চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই পদ কর্মরত ছিলেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সৈয়দ আহমেদ অটল জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বগুড়া প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক দফতর সম্পাদক এবং বগুড়া প্রেসক্লাবের দুইবার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। জড়িত ছিলন খেলাঘর আসর ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে। সৈয়দ আহমেদ অটলের আলোচিত বই ‘লড়াই’। বইটি ২০১৭ সালের অমর একুশের গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক করতোয়ার প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক সৈয়দ আহমেদ অটল মারা গেছেন। গতকাল সকালে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত
২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে, সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সকল রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদসমূহে খতমে কোরআন আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিজিবি’র সকল স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং বিজিবি’র সকল সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করে। সকাল ৯টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বনানী সামরিক কবরস্থানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), বিজিবি মহাপরিচালক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের প্রতিনিধি (একত্রে) এবং শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়রা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও বাদ আসর পিলখানাস্থ বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিজিবি’র সকল রিজিয়ন,প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের সকল মসজিদ ও বিওপি পর্যায়ে শহীদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়গণ, পিলখানায় কর্মরত সকল অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে, সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ মধুমিতা গ্রুপের সাবেক এমডি রফিউদ্দিন বাবলু’র ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী
আজ শনিবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহ ও মধুমিতা গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রফিউদ্দিন বাবলু’র ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মধুমিতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোঃ সিরাজউদ্দিন সাহেবের কনিষ্ঠপুত্র। মো: রফিউদ্দিন বাবলু একজন সদালাপী ও ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শন শিল্পের একজন নিবেদিতপ্রান উদ্যোক্তা ছিলেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করার জন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহ ও মধুমিতা গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রফিউদ্দিন বাবলু’র ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মধুমিতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোঃ সিরাজউদ্দিন সাহেবের কনিষ্ঠপুত্র।
সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান আর নেই
প্রকাশিতব্য দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি লায়েকুজ্জামান আর নেই। (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এসআরজে সুমন বলেন, শনিবার বিকেলে কর্মস্থল রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লায়েকুজ্জামান ১৯৬৪ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লায়েকুজ্জামান এর আগে কালের কণ্ঠ পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি তিনি রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি দৈনিক মানবজমিন ও সকালের খবরে কাজ করেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিন দর্পণ পত্রিকায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রকাশিতব্য দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি লায়েকুজ্জামান আর নেই।
মধুমিতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিনের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
আজ সোমবার মধুমিতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিনের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তার মৃর্তুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সিরাজউদ্দিন বাংলাদেশের আধুনিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনশিল্পের পথকৃত ব্যাক্তিত্ব ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন। তার প্রতিষ্ঠিত মধুমিতা সিনেমা বাংলাদেশের প্রথম আাধুনিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন কেন্দ্র। তিনি ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সদালাপী ও ব্যতিক্রমধর্মী সসাজকর্মী ছিলেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করার জন্য আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার মধুমিতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিনের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তার মৃর্তুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সিরাজউদ্দিন বাংলাদেশের আধুনিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনশিল্পের পথকৃত ব্যাক্তিত্ব ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন। তার প্রতিষ্ঠিত মধুমিতা সিনেমা বাংলাদেশের প্রথম আাধুনিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন কেন্দ্র। তিনি ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সদালাপী ও ব্যতিক্রমধর্মী সসাজকর্মী ছিলেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করার জন্য আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আমেরিকায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
স্বপ্নপূরণের অভিযাত্রায় পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর ছুঁতে পারলেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ আবির হোসেন। আততায়ীর হাতে নিহত হয়ে চিরদিনের জন্য পৃথিবী ছাড়লেন ঢাবির এই মেধাবী শিক্ষার্থী। আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টায় আমেরিকার টেক্সাসের একটি কফিশপে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি। আবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী, থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্সটিটিউটটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহীন খান বলেন, আমার অত্যন্ত প্রিয় ও স্নেহভাজন শিক্ষার্থী শেখ আ‌বির হোসেন আজ আনুমানিক সকাল ৯টায় আততায়ীর গুলিতে মারা গেছেন। টেক্সাসে একটি কফিশপে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ‘অত্যন্ত সহজ-সরল ও মেধা‌বী ছাত্র আ‌বির স্বপ্ন দেখতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন। এজন্য বিসিএসসহ অন্য কোনো সরকারি চাকরির পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। কিছুদিন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও পরবর্তীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত ছিলেন আবির। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রাজুয়েট গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লামার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি।’ অধ্যাপক শাহীন খান বলেন, “অ‌নেকটা অ‌ভিমা‌ন নি‌য়েই এই বছ‌রের জানুয়ারী‌তে আবির আ‌মে‌রিকায় পা‌ড়ি দেয় উচ্চ শিক্ষা ও উন্নত জীব‌নের আশায়। আ‌মে‌রিকার মা‌টি তার স্বপ্ন পূরণ হতে দি‌লো না। আমরা হারালাম অত্যন্ত ভদ্র ও সুন্দর ম‌নের এক‌ প্রিয় ছাত্রকে, পরিবার হারালো তাদের প্রিয়জনকে। আবিরের এ অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ আমাদেরকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আল্লাহ তাঁর প‌রিবার‌কে এই শোক সহ্য করার শ‌ক্তি দিন এবং তা‌ঁকে বে‌হেশত নসীব করুন। আমিন।” এদিকে আবিরের এমন মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বইছে শোকের মাতম। এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না তার বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কেউ।
স্বপ্নপূরণের অভিযাত্রায় পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর ছুঁতে পারলেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শেখ আবির হোসেন। আততায়ীর হাতে নিহত হয়ে চিরদিনের জন্য পৃথিবী ছাড়লেন ঢাবির এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
কবি আবুবকর সিদ্দিক মারা গেছেন
কবি, গল্পকার ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবুবকর সিদ্দিক মারা গেছেন । তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনার সিটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তার মেয়ে বিদিশা সিদ্দিক জানান। তিনি বলেন, “বাবা ভোরে পৌনে ৬টায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।“ এর আগে, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আবুবকর সিদ্দিককে খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে রাতেই তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে) স্থানান্তর করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। আবুবকর সিদ্দিক খুলনা শহরের ৫ নম্বর মুন্সিপাড়ায় তার ছোট বোনের বাসায় থাকছিলেন গত একযুগ ধরে। পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি। তার মেয়ে বিদিশা এক সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের স্ত্রী ছিলেন। অধ্যাপক আবুবকরের ছোট বোনের ছেলে শরিফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তার মামা। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আবুবকর সিদ্দিক ১৯৩৪ সালের ১৯ আগস্ট মামারবাড়ি বাগেরহাটের গোটাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা মতিয়র রহমান পাটোয়ারী ছিলেন সরকারি চাকুরে। মা মতিবিবি গৃহিণী। বাবার চাকরি সূত্রে ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে থেকে ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে তিনি পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটরডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন। আবুবকর সিদ্দিকের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ২০টি অধিক কাব্যগ্রন্থ, চারটি উপন্যাস, ১৫টি গল্পগ্রন্থ ও একটি ছড়া গ্রন্থ। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বই কবিতাগ্রন্থ ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন (১৯৮৬) ও হট্টমালা (২০০১) নামে একটি ছড়া গ্রন্থ। সাহিত্যে অবদানের জন্য আবুবকর সিদ্দিক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা) সহ আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছন।
কবি, গল্পকার ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবুবকর সিদ্দিক মারা গেছেন । তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান আর নেই
বিশিষ্ট শিল্পপতি সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন সময় টিভি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার বাদ আসর গেণ্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ফজলুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সরিষার তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয় সিটি গ্রুপের । প্রথম উদ্যোগ সফল হওয়ার পর সিটি গ্রুপ উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ ও ট্রেডিংসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করে। নব্বই দশকের শুরুর দিকে আরও প্রকল্প এবং উদ্যোগ হাতে নেয় সিটি গ্রুপ। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে শিল্পগোষ্ঠীটির অধীনে রয়েছে ৪০টির বেশি প্রতিষ্ঠান।
বিশিষ্ট শিল্পপতি সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শিল্পী-সংগ্রামী গোলাম মোহাম্মদ ইদু মারা গেছেন
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদের সাবেক সম্পাদনা সহকারী গোলাম মোহাম্মদ ইদু মারা গেছেন। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে উদীচী। এক শোকবার্তায় উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, গোলাম মোহাম্মদ ইদু-এর মৃত্যুতে একজন অভিভাবককে হারালো দেশ-বিদেশে উদীচীর লাখো শিল্পী-কর্মী। আজীবন বিপ্লবী এই মানুষটির মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণেরও অনেক বড় ক্ষতি হলো। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হওয়ারও প্রায় এক দশক আগে থেকে শিল্পী-সংগ্রামী-কৃষক নেতা সত্যেন সেন একটি গানের দল গঠন করেন। সেই গানের দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর উদীচী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। পরবর্তীতে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি দীর্ঘ দিন তিনি দৈনিক সংবাদের মসম্পাদনা সহকারী জিসেবে কাজ করেছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তথা বাংলাদেশের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত, প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। জীবনের একটি দীর্ঘসময় তাকে কারান্তরীণ থাকতে হয়েছে। তারপরও নিজের দায়িত্ব- কর্তব্য থেকে কখনো পিছপা হননি তিনি। শেষ বয়সে শারীরিক নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও উদীচীর ছোট-বড় যেকোন কর্মসূচিতে ছুটে আসতেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। উদীচীর সব বয়সী শিল্পী-কর্মীর জন্যই তিনি প্রকৃত অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৩৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহন করেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের জটিল রোগের সাথে লড়াই করছিলেন। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাকে রাজধানীর হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু-তিনদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২১ ডিসেম্বর বিকেলে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। তবে, আজ শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গোলাম মোহাম্মদ ইদু।
উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদের সাবেক সম্পাদনা সহকারী গোলাম মোহাম্মদ ইদু মারা গেছেন।
গণতন্ত্রী পার্টির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মারা গেছেন
গণতন্ত্রী পার্টির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বৎসর। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ৩৩ , মহাজন পুর লেন ঢাকাস্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তার নামাজে জানাজা মহাজন পুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। তাকে টঙ্গীবাড়ি মুন্সীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় । তিনি গণতন্ত্রী পার্টির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আজীবন লড়াই করে গেছেন তিনি। তিনি সৎ দেশপ্রেমিক,আপোষহীন,নির্লোভ ও নিরহংকার ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান খান পারভেজ, ঢাকা মহানগর সভাপতি এডঃ এম এ গনি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ সেলিম।
গণতন্ত্রী পার্টির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বৎসর। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ৩৩ , মহাজন পুর লেন ঢাকাস্থ নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তার নামাজে জানাজা মহাজন পুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। তাকে টঙ্গীবাড়ি মুন্সীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ।
মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ আধাবেলা বন্ধ
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে আপিল বিভাগের বিচারকাজ আধাবেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার পর আপিল বিভাগে দিনের বিচারকাজ আর না চালানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতি। সকালে আপিল বিভাগের বিচারকাজ চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুর কথা আদালতকে জানান। তখন প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করে আপিল বিভাগে বেলা ১১টার পর বিচারকাজ বন্ধ থাকবে বলে জানান। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরিবারের সদস্যরা জানান, আজিমপুর কবরস্থানে তাকে তার বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে। মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা রোববার বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে আপিল বিভাগের বিচারকাজ আধাবেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা , সুবক্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নুরুল ইসলাম প্রয়ান দিবস উদযাপন
গনতন্ত্রী পার্টির সাবেক সভাপতি, শ্রমিক নেতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম এর ১৫তম প্রয়ান দিবস উদযাপন করেছে গনতন্ত্রী পার্টি । সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল চার টায় ঢাকায় কাকরাইল গনতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা শহীদুল্লাহ্ সিকদার ও পরিচালনা করেন পার্টির যুগ্ম সম্পাদক জনাব খায়রুল আলম। প্রয়াত সভাপতির জীবন সংগ্রাম, ৪ র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনে তাঁর অবদান তাঁর পুত্র পুচির তাৎক্ষনিক ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়। স্মরণ সভায় প্রয়াত জননেতার জীবনের উপর আলোচনা করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহাম্মদ, এ্যাড. ফুয়াদ হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমল ঘোষ, মিরাজুল ইসলাম জামান, ফণীন্দ্র সরকার, মো : কামরুল ইসলাম, হরি প্রসাদ মিত্র,শফি রেজা নুর মজুমদার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন খান মিল্কি আরজু, আ. শাদীদ আহমেদ সাদী,মো: সোহরাব হোসেন, শরীফ ইকবাল হামিদ মো : শহীদুল্লাহ, শুভ আল মাহমুদ, মো: সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ।
গনতন্ত্রী পার্টির সাবেক সভাপতি, শ্রমিক নেতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম এর ১৫তম প্রয়ান দিবস উদযাপন করেছে গনতন্ত্রী পার্টি ।
নওগাঁ-৩ আসনের সাবেক এমপি ড.আকরাম হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন
নওগাঁ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কৃর্তপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও নওগাঁর কমিউনিটি রেডিও বরেন্দ্র রেডিও ৯৯.২এফ.এম এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে নওগাঁ শহরের উকিল পাড়ার নিজ বাসায় বাথরুমে স্টোক করে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। আকরাম হোসেন চৌধুরী নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার চাকরাইল গ্রামের প্রয়াত ক্যাপটেন ইসমাইল হোসেনের ছেলে। আকরাম চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার। আরো শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও নওগাঁ ৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক এই নেতার হঠাৎ মৃত্যুতে সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উল্লেখ্য আকরাম হোসেন নওগাঁ-৩ আসন (বদলগাছী -মহাদেবপুর) উপজেলা থেকে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু পরের মেয়াদে দলীয় মনোনয়ন পেলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। এরপর ২০১৫ সালে তিনি রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কৃর্তপক্ষের চেয়ারম্যান হন। এছাড়াও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি। এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।
নওগাঁ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কৃর্তপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও নওগাঁর কমিউনিটি রেডিও বরেন্দ্র রেডিও ৯৯.২এফ.এম এর প্রতিষ্ঠাতা ড. মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন।
এডভোকেট কিশোরী পদ দেব শ্যামল মারা গেছেন
মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা খেলাঘরের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট কিশোরিপদ দেব (৬৭) মারা গেছেন। গত রোবার দিবাগত মধ্যরাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মঙ্গলবার মৌলভীবাজারে তার সম্মানে ফুলকোর্ট রেভারেন্স অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রমাকান্ত দাশগুপ্ত। তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভোগছিলেন। তার ১স্ত্রী, ১পুত্র ও ১কন্যা রয়েছে। তার এক ভাই শহীদ গৌরাপদ দেব কানু মুক্তিযুদ্ধে শহীদ । এডভোকেট কিশোরী পদ দেব শ্যামল দীর্ঘ দিন ধরে ‘মাসিক গৌরবাণী’ নামে একটি পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে খেলাঘর আন্দোলনে যুক্ত হন এবং উত্তরণ খেলাঘর আসরের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এডভোকেট কিশোরী পদ দেব শ্যামলের মরদেহ দেখতে সকালে তার বাস ভবনে যান জেলা আওয়ামীলী সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, মৌলভীবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফায়জুল করিম, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।
মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা খেলাঘরের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট কিশোরিপদ দেব (৬৭) মারা গেছেন।
জামালপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওমরুজ্জামান চৌধুরী মারা গেছেন
জামালপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওমরুজ্জামান চৌধুরী দর্শন(৩৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার বিকেলে দর্শনকে অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দর্শনের চাচা শফি কামাল চৌধুরী রঞ্জু জানান, গত দুই মাস ধরে তিনি পায়ের সমস্যার কারণে হাটতে পারছিলো না। অসুস্থ বোধ করলে বুধবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ওমরুজ্জামান চৌধুরী দর্শন জামালপুর শহরের কথাকলি মার্কেট এলাকার ওয়াহেদুজ্জামান চৌধুরী বাবুলের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার জানাজা শেষে জামালপুর পৌর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জামালপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওমরুজ্জামান চৌধুরী দর্শন(৩৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার বিকেলে দর্শনকে অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি ফররুখ আহমদের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁকে ইসলামী রেনেসাঁর কবি বলা হয়। তিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার মাঝআইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধাবেলায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন ফররুখ আহমদ। খানসাহেব সৈয়দ হাতেম আলী ও রওশন আখতারের দ্বিতীয় পুত্র তিনি। ফররুখ আহমদ ১৯৩৭ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। তারপর কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯৩৯ সনে আই এ পাস করে তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শন ও ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স নিয়ে বি.এ ক্লাশে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা না দিয়েই কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে কলকাতার আই জি প্রিজন অফিস এবং সিভিল সাপ্লাই অফিসে কয়েক বছর চাকরি করেন। ১৯৪৫ সাল থেকে তিনি মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং ভারত বিভাগের পর ঢাকায় এসে রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্রে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি ছোটদের খেলাঘর অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করতেন। ফররুখ আহমদ ছাত্রাবস্থায়ই এম.এন রায়ের র‌্যাডিক্যাল মানবতাবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বামপন্থী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু বিভাগোত্তরকালে তিনি পাকিস্তানী আদর্শ ও মুসলিম রেনেসাঁর সমর্থক হন। তবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও আদর্শের প্রতি অবিচল থাকলেও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। তিনি তখন ধর্মীয় কুসংস্কার ও পাকিস্তানের অপরিনামদর্শী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কঠোর হাতে লেখনী পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তাঁর অনুরূপ সমর্থন ছিল। বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকে কাব্যক্ষেত্রে ফররুখ আহমদের আগমন ঘটে। ১৯৪৪ সনে ২৬ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয়। কিশোর বয়স থেকেই তিনি কাব্য-চর্চা শুরু করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। এবং একজন নবীন কবি হিসেবে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। ঐ সময় থেকেই পত্র-পত্রিকায় তাঁর ওপর লেখালেখি শুরু হয় এমনকি কলকাতা রেডিওতে তাঁর ওপর আলোচনা সম্প্রসারিত হয়। স্বল্পকালের মধ্যেই তিনি একজন অসাধারণ প্রতিভাবান কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ফররুখ আহমদ দুর্ভিক্ষের মর্মন্তুদ দৃশ্য নিয়ে অসংখ্য কবিতা রচনা করেন। ঐ সময়ে লেখা তাঁর প্রায় ১৯টি কবিতায় দুর্ভিক্ষের চিত্র ফুটে ওঠেছে। ১৯৪৪ সালে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আকাল’ নামে যে সংকলন গ্রন্থ প্রকাশ করেন, তাতে ফররুখ আহমদের ‘লাশ’ কবিতাটি স্থান পায়। দুর্ভিক্ষ নিয়ে যারা ঐ সময় কবিতা লিখেছেন তাঁদের মধ্যে ফররুখ আহমদের কবিতা ছিল অনেকটা ভিন্ন ধরনের, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ও গভীর আবেদন সৃষ্টিকারী। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোর মধ্যে ‘লাশ’ কবিতাটি অন্যতম। চল্লিশের দশকে ইংরেজবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন অর্থাৎ পাকিস্তান আন্দোনের প্রবলতর হয়। এ সময় স্বাধীনতার সপক্ষে গণজাগরণমূলক কবিতা লিখে ফররুখ আহমদ বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন মুসলিম পুনর্জাগরণে বিশ্বাসী। ইসলামী আদর্শ ও আরব ইরানের ঐতিহ্য তাঁর কবিতায় উজ্জ্বলভাবে ফুটে ওঠেছে। তাই মুসলিম জাগরণের কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলাম যে অসাধারণ খ্যাতি অর্জন করেন, তেমনি মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে ফররুখ আহমেদকেও আখ্যায়িত করা যায়। ‘সাত সাগরের মাঝি’ ফররুখ আহমদের প্রথম এবং সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। মূলত: এ গ্রন্থে ফররুখ আহমদের স্বাধীনতা-প্রীতি ও মানবতাবোধের সুস্পষ্ট বিকাশ ঘটেছে। ফররুখ আহমদ ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফররুখ আহমদ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি রেডিও পাকিস্তান ঢাকা কেন্দ্রের শিল্পীদের ধর্মঘটে যোগদানে সংগঠিত ও উৎসাহিত করেন। বায়ান্নর পর রেডিওতে কর্মরত শিল্পী-আলতাফ মাহমুদ, আব্দুল আহাদ, আব্দুল হালিম চৌধুরীর সঙ্গে কবি ফররুখ শিল্পী-ধর্মঘটে যোগ দেন। তিনি তদানীন্তন পাকিস্তানী শাসকদের ব্যঙ্গ করে ‘রাজ-রাজরা’ নামে একটি নাটক লেখেন যা ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ে অভিনীত হয়। প্রখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী তাতে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে বেনজীর আহমদ ও আবু জাফর শামসুদ্দীন সম্পাদিত ‘নয়াসড়ক’ সংকলনে প্রকাশিত হয়। গীতি কবিতা, মহাকাব্য, সনেট, গল্প, উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত, প্রবন্ধ, বেতার কথিকা, গীতি-নকশা প্রভৃতি সৃষ্টিশীল রচনায় তিনি নৈপূণ্য প্রদর্শন করেন। কবিতা রচনায় তিনি অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন। ফররুখ আহমদের গ্রন্থগুলো হলো- ১। সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪) ২। আজাদ কর পাকিস্তান (১৯৪৬), ৩। সিরাজম মুনীরা (১৯৫২), ৪। নৌফেল ও হাতেম (১৯৬১), ৫। মুহূর্তের কবিতা (১৯৬৩), ৬। ধোলাই কাব্য (জানুয়ারি, ১৯৬৩) ৭। পাখির বাসা (১৯৬৫) ৮। হাতেম তা’য়ী (১৯৬৬), ৯। নতুন লেখা (১৯৬৯), ১০। হরফের ছড়া (১৯৭০) ১১। চাঁদের আসর (১৯৭০), ১২। ছড়ার আসর (১৯৭০), ১৩। হে বন্য স্বপ্নেরা (১৯৭৬), ১৪। ইকবালের নির্বাচিত কবিতা (১৯৮০), ১৫। কাফেলা (১৯৮০), ১৬। হাবেদা মরুর কাহিনী (১৯৮১), ১৭। সিন্দাবাদ (অক্টোবর, ১৯৮৩), ১৮। ফুলের জলসা (ডিসেম্বর, ১৯৮৫) ১৯। তসবির নামা (১৯৮৬), ২০। দিলরুবা (১৯৯৪), ২১। ঐতিহাসিক অনৈতিকহাসিক কাব্য (১৯৯৪), ২২। অনুস্বার। বাংলা সাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ’ মহাকাব্যের পর অত্যন্ত সফল মহাকাব্য ফররুখ আহমদের ‘হাতেম তা’য়ী। কাব্য নাটক রচনার ক্ষেত্রে মুসিলম কবিদের মধ্যে তিনিই পথিকৃৎ। তার ‘নৌফেল ও হাতেম’ একটি সফল কাব্য নাটক। এটি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘আয়ূস্মতীর’ চেয়ে অনেক উন্নতমানের রচনা। সনেট রচনায় ফররুখ আহমদ সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছেন। সম্ভবত, বাংলা সাহিত্যে মাইকেলের পর সংখ্যায় এত বেশি সনেট হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে আজ পর্যন্ত আর কেউ রচনা করতে পারেননি। ফররুখের পূর্ণাঙ্গ সনেট গ্রন্থের মধ্যে ‘মুহূর্তের কবিতা’, ‘দিলরুবা’, ও ‘অনুস্বার’ প্রধান। মুহূর্তের কবিতায় ৯৪টি, দিলরুবায় ৪৯টি, অনুস্বারে ৮৫টি, সিরাজম মুনিরায় ১০টি, সাত সাগরের মাঝিতে ৭টি, আজাদ করো পাকিস্তানে ১টি এবং হাতেমতা’য়ীতে বেশ কিছু সনেট রয়েছে। তার সমগ্র রচনা প্রকাশিত হলে হয়ত সমগ্র সনেট সংখ্যার হিসাব পাওয়া যাবে। ‘রাত্রি’ নামে একটি সনেট রচনার মধ্যদিয়ে ফররুখ আহমদের কাব্য জীবনের সূত্রপাত হয়েছিল এবং ‘১৯৭৪-এ একটি আলেখ্য’ এই সনেটটি রচনার মধ্যদিয়ে তার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। ব্যঙ্গ কবিতা রচনার ক্ষেত্রে ফররুখ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেন। প্রায় পনেরটি ছদ্মনামে এসব ব্যঙ্গ কবিতা রচিত হয়েছে। স্বনামেও তিনি প্রচুর ব্যঙ্গ কবিতা লিখেছেন। তাঁর ব্যঙ্গ কবিতা গ্রন্থের মধ্যে ১। অনুস্বার (ব্যঙ্গ সনেট), ২। ঐতিহাসিক অনৈতিহাসিক কাব্য ৩। তসবির নামা ৪। ধোলাই কাব্য প্রভৃতি প্রধান। ‘হাবেদা মরুর কাহিনী’ ফররুখের গদ্য কবিতা গ্রন্থ। গদ্য কবিতা রচনায়ও তিনি যে সিদ্ধহস্ত ছিলেন এটা তার স্বাক্ষর বহন করে। ফররুখ আহমদ শিশু-কিশোরদের জন্য প্রচুর ছড়া ও কবিতা রচনা করেন। এসব ছড়া কবিতা অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর শিশুছড়া গ্রন্থের সংখ্যা ১৫। এর মধ্যে অল্পসংখ্যক ছড়া গ্রন্থ কেবল প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ফররুখ আহমদ নয়া জামাত (১ম ভাগ, ২য় ভাগ, ৩য় ভাগ, ৪র্থ ভাগ) নামে ৪টি পাঠ্য পুস্তক রচনা করেন যা ১৯৫০ সালে প্রকাশিত হয়। ফররুখ আহমদ মূলত কবি। তবু তিনি বেশ কিছু স্বার্থক গল্প লিখেছেন। এর মধ্যে ‘প্রচ্ছন্ন নায়িকা’, ‘মৃত বসুধা’ বিবর্ণ’ প্রভৃতি বিখ্যাত গল্প। ফররুখের গল্পসমূহ ‘ফররুখ আহমদের গল্প’ নামে আব্দুল মান্নান সৈয়দের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে। সিকান্দার শা’র ঘোড়া নামে একটি উপন্যাস রচনায়ও তিনি হাত দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ করে যেতে পারেননি। ফররুখ আহমদ ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বেশকিছু প্রবন্ধও রচনা করেন। ভাষা বিষয়ক কিছু কবিতাও তিনি রচনা করেন যা রেডিওতে নিয়মিতভাবে প্রচার হতো। কবিতা রচনার পাশাপাশি ফররুখ আহমদ অসংখ্য হামদ, নাত, দেশাত্মবোধক সংগীত, প্রেম ও ভক্তিমূলক গান এবং আধুনিক বাংলা সংগীত রচনা করেন। মানের দিক থেকে এ গানগুলো প্রশংসনীয় ও জনপ্রিয় ছিল। এক সময় বেতার ও টিভিতে খ্যাতনামা শিল্পীদের কণ্ঠে এগুলো নিয়মিত প্রচার হতো। সাহিত্যকর্মের জন্য ফররুখ আহমদ ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাইড অব পারফরমেন্স, ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার এবং একই বছরে ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন। ভাষা আন্দোলনে ফররুখ আহমদের অবদান যথার্থ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। উপরন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ঢাকা বেতারের চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং সরকারি বাসা ছেড়ে ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশ্য বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ করার ফলে শেষ পর্যন্ত তাকে বাসা ছাড়তে হয়নি। ইস্কাটন গার্ডেনের সে সরকারি বাসাতেই নানা দুঃখকষ্ট, অনাহারে অর্ধাহারে এবং বিনা চিকিৎসায় কবি অবশেষে ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর মহান রব্বে কায়েনাতের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান। ফররুখ আহমদের মৃত্যুর পর ১৯৭৭ সনে মরণোত্তর একুশে পদক দিয়ে ভাষা আন্দোলনে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। ১৯৮০ সালে তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। কাজী নজরুল ইসলামের পরে বাংলা সাহিত্যে ইসলামী রেনেসাঁয় যে অবদান ফররুখ আহমদ রেখে গেছেন, আগামী প্রজন্ম তা থেকে নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য খুঁজে পাবে। এবং ‍মুসলিম উম্মাহর আত্মপরিচয় জানান দেওয়ার জন্য ফররুখ আহমদ অমর হয়ে থাকবেন প্রত্যেক মুসলিমের হৃদয়ে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি ফররুখ আহমদের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁকে ইসলামী রেনেসাঁর কবি বলা হয়। তিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার মাঝআইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধাবেলায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন ফররুখ আহমদ। খানসাহেব সৈয়দ হাতেম আলী ও রওশন আখতারের দ্বিতীয় পুত্র তিনি।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজয় রায়ের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক, বিশিষ্ট কলামিষ্ট, লেখক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়ের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী সহকর্মী, শুভ্যানুধায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ফুলেল শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণের মধ্যদিয়ে পালিত হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রয়াতের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অজয় রায়ের জীবনী পাঠ করেন- সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ হাসেম। সভা পরিচালনা করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ। অন্যান্নদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন নুর মোহাম্মদ তালুকদার, এডভোকেট আসাদুল্লাহ তারেক, দীপায়ন খীসা, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাদাতৎ হোসেন, ডা. অসিত বরণ রায়, সেলিম রেজা, অজয় রায়ের সহধর্মিনী ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জয়ন্তী রায়, ড. সেলু বাসিত, রঞ্জিত কুমার সাহা, জহিরুল ইসলাম জহির, আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ। গান পরিবেশন করেন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মীরা মন্ডল ও সাংস্কৃতি মঞ্চের শিল্পীবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, মানবমুক্তির প্রশ্নে আমৃত্য দৃঢ়তার সাথে কাজ করে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। অজয় রায় একদিকে ছিলেন মানবমুক্তির সংগ্রামে সাহসী যোদ্ধা, জেল জুলুম মাথায় নিয়ে কৃষক-শ্রমিক, সাংস্কৃতিক সেবীসহ সমাজের শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাহস জোগাতেন, সংগঠিত করতেন, অন্যায় নিপীড়ন, শোষণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু সোচ্চার থেকে বিশ^ শান্তির পক্ষে লড়ে গেছেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতি ও সংস্কৃতি চর্চার অপূরনীয় শুন্যতা তৈরি হয়েছে তা এখনো বিদ্যমান, আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক, বিশিষ্ট কলামিষ্ট, লেখক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় রায়ের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী সহকর্মী, শুভ্যানুধায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের ফুলেল শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণের মধ্যদিয়ে পালিত হয়।
ফাইসন্স- এর সাবেক এমডি আব্দুল ওয়াহেদ মারা গেছেন
ব্রিটিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী ফাইসন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ বার্ধক্যজনিত কারণে আজ রোববার স্কয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের কয়েকজন ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে একজন। ১৯৫৫ সালে কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্ট থেকে বিপিআরএমসহ স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের ওষুধ শিল্পের মানকে সমৃদ্ধ করার কারিগরদের অন্যতম তিনি। বাংলাদেশে ফিরে আসার আগে তিনি যুক্তরাজ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী গ্ল্যাক্সোতে কর্মজীবন শুরু করেন। আজ রোববার রাত ১০টায় গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে(আজাদ মসজিদ) তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
ব্রিটিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী ফাইসন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ বার্ধক্যজনিত কারণে আজ রোববার স্কয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।
‘তবক দেওয়া পান’ এর কবি আসাদ চৌধুরীর চিরবিদায়
‘কোথায় পালালো সত্য?/দুধের বোতলে, ভাতের হাঁড়িতে! নেই তো.../ টেলিভিশনে বা সিনেমা বেতারে,/ নৌকার খোলে, সাপের ঝাঁপিতে নেই তো।’ মুখর মানুষ, তুখোড় আড্ডাবাজ কবি আসাদ চৌধুরী আজকের দিনের সত্য হারানোর মতো নিজেও হারিয়ে গেলেন, অবয়বে। তবে তিনি বেঁচে থাকবেন তার কবিতা ও সৃষ্টিতে আরও দীর্ঘ সময়। ‘তবক দেওয়া পান’ থেকে ‘সত্য ফেরারী’র মতো অসংখ্য কবিতা লিখে অত্যন্ত জনপ্রিয় কবি হিসেবে খ্যাতি পান পাঠক সমাজে। ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাকেরগঞ্জে জন্ম নেয়া এই কবি আজ ৫ অক্টোবর কানাডার টরন্টোতে একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন। এর আগে প্রায় দুই বছর যাবত তিনি প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন। এর মধ্যে তিনি কানাডা-বাংলাদেশ ঘন ঘন দুই জায়গাতেই আসা যাওয়া করতেন। আসাদ চৌধুরীর জামাতা তার ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ‘মৃত্যু হায়নাদের মতো তার পিছু লেগেছিল অনেকদিন ধরেই। কিন্তু তিনি ছিলেন সিংহরাজ। সহজে হার মানেননি, তার নামের অর্থও তাই। সবার টান টান উত্তেজনা আর শুভ প্রত্যাশার অগণিত তারগুলো ছিঁড়ে গেছে। ঐব ষরাবফ ধ মৎবধঃ ষরভব!’ তিরিশীয় আধুনিকতার পর বাংলাদেশের ষাটের দশকের কবিতা আন্দোলন ছিল চোখে পড়ার মতো। বলা হয়, বোদলেয়ারীয় জীবনধারায় এই সময়ের কবিরা তাদের জীবনাচরণে বোহেমিয়ানিজমকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। যেমন কবি রফিক আজাদ, আবুল হাসান, নির্মলেন্দু গুণ, মোহাম্মদ রফিক, হেলাল হাফিজসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে ব্যতিক্রম কবি আসাদ চৌধুরী, সিকদার আমিনুল হক ও মহাদেব সাহা। আসাদ চৌধুরী ছিলেন অত্যন্ত সদালাপী, মানুষকে মুহূর্তে কাছে টেনে নেবার মতো প্রাণবান। কবিতা লেখার পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন উপস্থাপনা ও অনুবাদ করতে পছন্দ করতেন। বিটিভিসহ বেশ কিছু বেসরকারি টেলিভিশনে তিনি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা পান। উপমহাদেশের উর্দু কবিতার অসাধারণ সব অনুবাদ আমরা তার কাছ থেকেই অধিক পরিমাণে পেয়েছি। তিনি অনুবাদ করেছেন প্যালেস্টাইনের নির্বাচিত কবিতা। আসাদ চৌধুরীর কবিতা ছিল ষাটের দশকের অন্য কবিদের থেকে কিছুটা অন্য রকম। অবশ্য ঐ সময়ের প্রত্যেক কবিই তাদের স্বতন্ত্র কাব্যভাষা তৈরিতে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার ঠিক আগের দশকের কবিরা পাকিস্তানি অত্যাচার-নির্যাতনের যে নির্মমতা দেখেছেন, তা দেখে কবিহৃদয় স্থির থাকতে পারেনি। রফিক আজাদ, মোহাম্মদ রফিকের মতো কবিরা সরাসরি সম্মুখ সমরে যেমন অংশ নেন, পাশাপাশি অন্য কবিরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন আসাদ চৌধুরী, যা বিশেষভাবে আলোচিত হয়। পেশাগত জীবনে তিনি অধ্যাপনা, সাংবাদিকতা ও বাংলা একাডেমিতে চাকরি করেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তবক দেয়া পান’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। অনেকটা পরিণত সময়েই। তিনি কবিতার মান ও শিল্পের নন্দনতত্ত্বের প্রশ্নে ছিলেন আপোসহীন। তাই ষাটের দশকের একজন কবির প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয় ১৯৭৫ সালে। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-বিত্ত নাই বেসাত নাই, জলের মধ্যে লেখাজোখা, নদীও বিবস্ত্র হয়, ঘরে ফেরা সহজ নয় প্রভৃতি। প্রায় দুই ডজন শিশুসাহিত্যের বই রচনা করেন কবি আসাদ চৌধুরী। রাজার নতুন জামা (রূপান্তর), রাজা বাদশার গল্প, কেশবতী রাজকন্যা, সোনার খড়ম তার জনপ্রিয় শিশুকিশোর সাহিত্যের গ্রন্থ। সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু, রজনীকান্ত সেননামে জীবনীগ্রন্থ রয়েছে তার। তিনি যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন-যাদের রক্তে মুক্ত এদেশ গ্রন্থটি। গুণী ও সমৃদ্ধ এই কবি তার লেখালেখির জন্য ১৯৮৭ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৩ সালে একুশে পদকসহ আরও অসংখ্য পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
‘কোথায় পালালো সত্য?/দুধের বোতলে, ভাতের হাঁড়িতে! নেই তো.../ টেলিভিশনে বা সিনেমা বেতারে,/ নৌকার খোলে, সাপের ঝাঁপিতে নেই তো।’ মুখর মানুষ, তুখোড় আড্ডাবাজ কবি আসাদ চৌধুরী আজকের দিনের সত্য হারানোর মতো নিজেও হারিয়ে গেলেন, অবয়বে। তবে তিনি বেঁচে থাকবেন তার কবিতা ও সৃষ্টিতে আরও দীর্ঘ সময়। ‘তবক দেওয়া পান’ থেকে ‘সত্য ফেরারী’র মতো অসংখ্য কবিতা লিখে অত্যন্ত জনপ্রিয় কবি হিসেবে খ্যাতি পান পাঠক সমাজে।
প্রয়াত লুনা সামসুদ্দোহার ৬৯তম জন্মবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডাব্লিউআইটি) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহা’র ৬৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৪ সালের ৪ অক্টোবর তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। শিক্ষাগত জীবনে তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। একই প্রতিষ্ঠানে আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে যোগ দেন দ্য এক্সিকিউটিভ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা সহযোগী হিসেবে। ১৯৯২ সালে দোহাটেক নিউ মিডিয়া প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক জীবনের সূচনা ঘটে এবং দেশের আইসিটি পরিবারের একজন নিবেদিত সদস্য হিসাবে নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার প্রতিষ্ঠান সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ই-গভর্নেন্স প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত, এর মধ্যে ই-জিপি সিস্টেম অন্যতম। ২০০৭-২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতেও অবদান রাখেন। দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো ব্যাংকের প্রথম নারী চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহা দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৭। স্থানীয় সফটওয়্যার শিল্পে নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনন্যা টপ টেন অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা লাভ করেছেন। তার গড়া প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ভুটান, নেপাল সহ বিভিন্ন দেশের সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, করপোরেশনের সফটওয়্যার সলিউশন দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করার ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান। লুনা সামসুদ্দোহা ২০১৩ সালে প্রযুক্তি খাতে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির কারনে গ্লোবাল উইমেন ইনভেন্টরস অ্যান্ড ইনোভেটরস নেটওয়ার্ক (গুইন) সম্মাননা পান। ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।
বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডাব্লিউআইটি) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহা’র ৬৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৪ সালের ৪ অক্টোবর তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন।
‘সাংবাদিকতাকে সাধনা হিসেবে নিয়েছিলেন আবুল মনসুর আহমদ’
সাহিত্যিক সাংবাদিক ও রাজনীতিক আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তিনি সাংবাদিকতাকে সাধনা হিসেবে নিয়েছিলেন। তার সকল কর্মকাণ্ডের মূলে ছিল তখনকার কৃষক, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ। আবুল মনসুর আহমদকে একজন বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত করে বক্তারা আরও বলেন, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বোধ থেকে তিনি নাগরিকের অধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং সমাজের পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত লড়াই করে গেছেন। একইসঙ্গে সাহিত্য এবং সাংবাদিকতার যে অসাধারণ সংমিশ্রন তিনি ঘটিয়েছেন তা এখনো দৃষ্টান্তস্বরূপ। আজ শনিবার আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘শতবের্ষে আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার প্রাসঙ্গিকতা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদের অনেকগুলো পরিচয় ছিল। তিনি সাংবাদিক ছিলেন, সাহিত্যিক ছিলেন, রাজনীতিক ছিলেন, পেশায় আইনজীবী ছিলেন। আজ আমরা যোদের বুদ্ধিজীবী বলি আবুল মনসুর আহমদ তেমন একজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদ যখন সাংবাদিকতা শুরু করেন ১০০ বছর আগে, তখন সমাজ আরও অনগ্রসর ছিল, আমরা ঔপনিবেশিক শাসনের মধ্যে ছিলাম, আমাদের সামনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। সেখানে তিনি কৃষকের সমস্যাকে প্রধান মনে করেছেন। রাজনীতির বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত পরিষ্কার ছিল।’ ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ’র সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, ‘ভাষার রাজনীতি নিয়ে ওই সময়ে আবুল মনসুর আহমদ ছাড়া এ অঞ্চলের একটা মানুষও আলোচনা করেননি।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজীর অভিমত, ‘আবুল মনসুর আহমদের শিক্ষাটা এই যে মানুষের মুখ থেকে ভাষাটা কলমে আসুক। কলম থেকে মানুষের মুখের ভাষাটা না যাক।’ দৈনিক সমকালের পরিকল্পনা সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফ, আবুল মনসুর আহমদের কৃষক প্রজা পার্টির মাধ্যমে সমাজ রূপান্তরের যে বিপ্লবী ভূমিকা, সাংবাদিকতার ভেতর দিয়ে বাংলা ভাষার রাজনীতি, সংস্কৃতির রাজনীতির গোড়াপত্তন করা এবং শেষ পর্যন্ত এই দেশের একজন ভিশনারি হিসেবে তার অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে ‘শতবর্ষে আবুল মনসুর আহমদের প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে আলোচনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক কাজল রশীদ শাহীন। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সাহিত্যিক সাংবাদিক ও রাজনীতিক আবুল মনসুর আহমদ সম্পর্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, তিনি সাংবাদিকতাকে সাধনা হিসেবে নিয়েছিলেন। তার সকল কর্মকাণ্ডের মূলে ছিল তখনকার কৃষক, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ।
আজ ভাষাসৈনিক কাজী রেজাই করিম এর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী
আজ রোববার ১০ সেপ্টেম্বর ভাষাসৈনিক কাজী রেজাই করিম এর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় আজ বাদ আছর কাঁচপুর কাজীবাড়িতে দুস্থভোজ ও দোয়ার আয়োজন হবে। বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য মৌলভী ইয়াছিন কাজী সাহিত্যরতেœর কনিষ্ঠ পুত্র কাজী রেজাই করিম নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রবস্থায় বায়ান্নর ফেব্রয়ারীতে নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলনের কর্মী হিসেবে গ্রেফতার হন। বিজ্ঞপ্তি।
আজ রোববার ১০ সেপ্টেম্বর ভাষাসৈনিক কাজী রেজাই করিম এর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় আজ বাদ আছর কাঁচপুর কাজীবাড়িতে দুস্থভোজ ও দোয়ার আয়োজন হবে। বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য মৌলভী ইয়াছিন কাজী সাহিত্যরতেœর কনিষ্ঠ পুত্র কাজী রেজাই করিম নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রবস্থায় বায়ান্নর ফেব্রয়ারীতে নারায়ণগঞ্জে ভাষা আন্দোলনের কর্মী হিসেবে গ্রেফতার হন। বিজ্ঞপ্তি।
শিক্ষাবিদ আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন
বিশিস্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ঘোড়াশালে তাদের পৈতৃক নিবাসে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব, শুভানুধ্যায়ী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন। দোয়া মাহফিলে আনোয়ারি কবিরের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বিশিস্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনোয়ারি কবির ২০২১ সালে ২৯ আগস্ট ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক , জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরহুম খায়রুল কবিরের স্ত্রী। আনোয়ারি কবির বৃটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন। লরেটো কলভেন্ট , লেডি ব্রাবোর্ণ কলেজ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষায় স্নাতোকত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৫ সালে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল লিটল জুয়েলস প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে ৬৮তম বর্ষে পৌছেছে। আনোয়ারি কবির পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমতির ( বর্তমান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ) নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নিখিল পাকিস্তান মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তানের জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব চালু করেছিলেন এবং এর সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে জাপান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত দক্ষিন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরিয় অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত গভর্নর ছিলেন। পরবর্তীতে জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক বোর্ডে নির্বাচিত হন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি এ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল কিছু বড় পূনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সাইক্লোন সুরক্ষা কর্মসূচিতে যুক্ত হয়।
বিশিস্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ঘোড়াশালে তাদের পৈতৃক নিবাসে দোয়া মাহফিল ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব, শুভানুধ্যায়ী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন। দোয়া মাহফিলে আনোয়ারি কবিরের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আজ শিক্ষাবিদ আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী
বিশিস্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০২১ সালের দিনে তিনি ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক , জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরহুম খায়রুল কবিরের স্ত্রী। আনোয়ারি কবির বৃটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন। লরেটো কলভেন্ট , লেডি ব্রাবোর্ণ কলেজ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষায় স্নাতোকত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৫ সালে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল লিটল জুয়েলস প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে ৬৮তম বর্ষে পৌছেছে। আনোয়ারি কবির পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমতির ( বর্তমান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ) নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নিখিল পাকিস্তান মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তানের জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব চালু করেছিলেন এবং এর সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে জাপান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত দক্ষিন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরিয় অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত গভর্নর ছিলেন। পরবর্তীতে জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক বোর্ডে নির্বাচিত হন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি এ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল কিছু বড় পূনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সাইক্লোন সুরক্ষা কর্মসূচিতে যুক্ত হয়। আনোয়ারি কবিরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ঘোড়াশালে তাদের পৈতৃক নিবাসে দোয়া ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। সকল আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব ও শুভানধ্যায়ীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশিস্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০২১ সালের দিনে তিনি ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক , জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরহুম খায়রুল কবিরের স্ত্রী।
শিক্ষাবিদ আনোয়ারি কবিরের ২য মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল
বিশিস্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার। ২০২১ সালের দিনে তিনি ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক , জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরহুম খায়রুল কবিরের স্ত্রী। আনোয়ারি কবির বৃটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন। লরেটো কলভেন্ট , লেডি ব্রাবোর্ণ কলেজ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষায় ¯œাতোকত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৫ সালে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল লিটল জুয়েলস প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে ৬৮তম বর্ষে পৌছেছে। আনোয়ারি কবির পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমতিরি ( বর্তমান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ) নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নিখিল পাকিস্তান মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পাকিস্তানের জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব চালু করেছিলেন এবং এর সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে জাপান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত দক্ষিন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরিয় অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত গভর্নর ছিলেন। পরবর্তীতে জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক বোর্ডে নির্বাচিত হন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি এ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল কিছু বড় পূনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সাইক্লোন সুরক্ষা কর্মসূচিতে যুক্ত হয়। আনোয়ারি কবিরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামীকাল ঘোড়াশালে তাদের পৈতৃক নিবাসে দোয়া ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। সকল আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব ও শুভানধ্যায়ীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশিস্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী আনোয়ারি কবিরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার। ২০২১ সালের দিনে তিনি ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দৈনিক সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক , জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং জনতা ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরহুম খায়রুল কবিরের স্ত্রী।
সালাহউদ্দিন ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ বৃহস্পতিবার (২৭শে জুলাই) মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহ ও মধুমিতা অব গ্রুপ ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ফারুকের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মধুমিতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোঃ সিরাজউদ্দিন সাহেবের জ্যেষ্ঠপুত্র। মরহুম মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন একজন সদালাপী ও ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ ছিলেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করার জন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭শে জুলাই) মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহ ও মধুমিতা অব গ্রুপ ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ফারুকের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মধুমিতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মোঃ সিরাজউদ্দিন সাহেবের জ্যেষ্ঠপুত্র।
অন্যলোকে সংবাদ কার্টুনিস্ট এমএ কুদ্দুস
জাতীয় প্রেসক্লাবে কার্টুন শিল্পী এম.এ কুদ্দুসের প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজেসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদ পরিবারের শ্রদ্ধা নিবেদন-সংবাদ সংবাদের স্টাফ কার্টুনিস্ট ও বিশিষ্ট কার্টুন শিল্পী, এমএ কুদ্দুস মারা গেছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহীনবাগের ভাড়া বাসায় স্ট্রোক করে মারা যান তিনি। এর কয়েক মাস আগেও একবার তার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা রেখে গেছেন। এমএ কুদ্দুসের মৃত্যুর খবর সাংবাদিক মহলে ছড়িয়ে পড়ার পর শোকের ছায়া নেমে আসে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা তার বাসভবনে ছুটে যান। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ রাজবাড়ি জেলার মহাদেবপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে দ্বিতীয় জানাজার পর সন্ধ্যায় গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন এমএ কুদ্দুস। দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অনাচার বিরোধী কার্টুন একে খ্যাত শিল্পী কুদ্দুস
জাতীয় প্রেসক্লাবে কার্টুন শিল্পী এম.এ কুদ্দুসের প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজেসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সংবাদ পরিবারের শ্রদ্ধা নিবেদন-সংবাদ
অভিনেত্রী মিতা চৌধুরী মারা গেছেন
টিভি ও মঞ্চের গুণী অভিনেত্রী মিতা চৌধুরী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে সেখানকার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়ে দুঃসংবাদটি দিয়েছেন তার কন্যা নবিন। তিনি বলেছেন,বন্ধুরা, আমি নবীন বলছি, ঘণ্টা দুয়েক আগে মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। অনুগ্রহ করে তার জন্য দোয়া করবেন। আমরা এই মুহূর্তে সবার মেসেজ-কলের জবাব দিতে পারবো না। অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মিতা চৌধুরীর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন। সুবর্ণা মুস্তাফা নিজের প্রথম টিভি নাটক ‘বরফ গলা নদী’তে মিতা চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন বলে জানিয়ে ছবি শেয়ার করেছেন। সত্তর-আশির দশকে নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ ছিলেন মিতা চৌধুরী। তবে দীর্ঘ দিন তিনি যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ছিলেন। মাঝে ২০০৬ সালে দেশে ফিরে নাটকে কাজ করেছিলেন। টিভি নাটকের পাশাপাশি মঞ্চনাটকেও উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন তিনি। তার প্রথম ধারাবাহিকের নাম ‘শান্ত কুটির’। শুধু টিভি নাটকই নয়, মঞ্চে ‘সূচনা’ ও ‘গুড নাইট মা’–এর মতো প্রযোজনায় নিজেকে জড়িয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যকার মারশা নরম্যানের ‘নাইট মাদার’ অবলম্বনে মিতা চৌধুরী ‘গুড নাইট মা’–এর পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন। বিটিভিতে মিতা চৌধুরীর প্রথম নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর ‘আরেকটি শহর চাই’।
টিভি ও মঞ্চের গুণী অভিনেত্রী মিতা চৌধুরী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে সেখানকার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়ে দুঃসংবাদটি দিয়েছেন তার কন্যা নবিন।
সোনারগাঁয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যথাযথ মর্যাদায় শিল্পাচার্যজয়নুল আবেদিনের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গত রোববারদিবসটি পালন করে।আধুনিক চিত্রকলার অন্যতম পুরোধা ব্যাক্তিত্ব, দেশের ঐতিহ্য ওসংষ্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আন্দোলনের অগ্রসৈনিকএবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাশিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষেবাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে স্থাপিত শিল্পাচার্যেরভাষ্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও তার জীবনকর্মনিয়ে আলোচনা, দোয়া, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ওপুরষ্কার বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনেরপরিচালক এস এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনেরছেলে প্রকৌঃ ময়নুল আবেদিন। আরো উপস্থিত ছিলেনকোহিনুর আবেদিন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম, গাইড লেকচারার এ কে এম মোজাম্মেলহক মাসুদ, ডিসপ্লে অফিসার আবুল কালাম আজাদসহ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যথাযথ মর্যাদায় শিল্পাচার্যজয়নুল আবেদিনের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গত রোববারদিবসটি পালন করে।আধুনিক চিত্রকলার অন্যতম পুরোধা ব্যাক্তিত্ব, দেশের ঐতিহ্য ওসংষ্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার আন্দোলনের অগ্রসৈনিকএবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতাশিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষেবাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে স্থাপিত শিল্পাচার্যেরভাষ্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এছাড়াও তার জীবনকর্মনিয়ে আলোচনা, দোয়া, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ওপুরষ্কার বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনেরপরিচালক এস এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনেরছেলে প্রকৌঃ ময়নুল আবেদিন। আরো উপস্থিত ছিলেনকোহিনুর আবেদিন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম, গাইড লেকচারার এ কে এম মোজাম্মেলহক মাসুদ, ডিসপ্লে অফিসার আবুল কালাম আজাদসহ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ।