title
stringlengths
10
148
text
stringlengths
14
34.6k
summary
stringlengths
1
7.08k
স্মরণসভা: জাফরুল্লাহ ছিলেন দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক
গণস্বাস্থ্য কেন্দের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বক্তারা। আজ শনিবার সকালে ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট নাসির মিয়ার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন শামীমা সিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন জাফরুল্লাহর সহধর্মীনী নারী নেত্রী শিরিন হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. মুস্তফা মজিদ, অধ্যাপক রাহমান চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান চৌধুরী কানন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, তৈমুর রেজা শাহজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সাথী চৌধুরী, ফেরদৌসুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক। উনি যে কাজই করেছেন সেটা দেশের জন্য, মানুষের জন্য। তিনি রাজনীতি করতেন না। তবে তার বক্তব্য রাজনীতিকে আন্দোলিত করতো। তিনি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করতেন না। জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্থান করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে, উল্লেখ করেন বক্তারা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বক্তারা।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আহমদ হোসাইনের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রী সভার সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আহমদ হোসাইনের ১৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষে ঢাকাস্থ গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যেগে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফোরামের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আইয়্যুব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক এটিএম মমতাজুল করিম, সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদিসহ অনেকেই। বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার শুধু নয় উত্তরবঙ্গের গর্ব সাবেক এই মন্ত্রীর নাম বিলুপ্তির পথে। এখনকার প্রজন্ম জানে না অবহেলিত উত্তর জনপদে আহমদ হোসাইনের মতো একজন সফল মানুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে তুলেছিলেন স্কুল মাদ্রাসা। মহিমাগঞ্জের চিনির কল, কৃষি ইনস্টিটিউট (এটিটিআই)সহ বেশ কিছু কাজ করে গেছেন, যার ফল আজো গাইবান্ধাসহ দেশের মানুষ ভোগ করছেন। সংগঠনের ও অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, গাইবান্ধার সাঘাটায় যতো মুক্তিযোদ্ধা আছেন দেশের অনেক জেলা শহরেও তা নাই। অথচ সব সময় গাইবান্ধার উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে। কৃতি মানুষদের জন্ম হলেও শহরটি পিছিয়ে আছে অন্যান্য জেলার চাইতে অনেক। তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী আহমেদ হোসাইনের মতো কাউকে হারিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। জীবিত মৃত গাইবান্ধার কৃত্তিমান মানুষদের স্মরণ করা হবে। আর আহমেদ হোসাইনের সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তা সংরক্ষনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মন্ত্রী সভার সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আহমদ হোসাইনের ১৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষে ঢাকাস্থ গাইবান্ধা জেলা উন্নয়ন ফোরামের উদ্যেগে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফোরামের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আইয়্যুব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক এটিএম মমতাজুল করিম, সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদিসহ অনেকেই।
ক্যানসারের কাছে হেরে গেলেন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক মার্টিন এমিস
ক্যানসার আক্রান্ত প্রখ্যাত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক মার্টিন এমিস মারা গেছেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নিজ বাসভবনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। নিউইয়র্ক টাইমস শনিবার এক প্রতিবেদনে লেখকের স্ত্রী ইসাবেল ফনসেকার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়। ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক মার্টিন এমিস অক্সফোর্ডে ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৪টি উপন্যাস ও বেশ কিছু নন-ফিকশন বই লিখেছেন তিনি। তাকে তার সময়কার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী লেখকদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বসাহিত্যে মার্টিন এমিস আলোচনায় আসেন ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত ‘মানি: এ সুইসাইড নোট’ উপন্যাস দিয়ে। এর পাশাপাশি ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত ‘লন্ডন ফিল্ডস’ ও ১৯৯১ সালে প্রকাশিত ‘টাইমস অ্যারো’ উপন্যাস দু’টিকেও তার অন্যতম সেরা সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মার্টিন এমিসের বাবা স্যার কিংসলে এমিসও ছিলেন ঔপন্যাসিক ও কবি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর বাবার পদাংক অনুসরণ করে মার্টিনও লেখালেখি শুরু করেন।
ক্যানসার আক্রান্ত প্রখ্যাত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক মার্টিন এমিস মারা গেছেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নিজ বাসভবনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
নরসিংদীতে শিল্পপতির শফিকুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা
নরসিংদীর বিশিষ্ট শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা মিস্টিক শিল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মো: শফিকুল ইসলাম এর ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল শুক্রবার বিকেলে মিস্টিক আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিস্টিক আইডিয়াল স্কুল-এর আয়োজনে উক্ত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদী পৌর সভার মেয়র মো: আমজাদ হোসেন বাচ্চু। মিস্টিক আইডিয়াল স্কুল এর প্রধান শিক্ষক মোঃ মোরশেদ সরকার এর সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, কুমিল্লার উপ-পরিচালক, মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ আলোচক ছিলেন, নরসিংদী ইনডিপেনডেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান, নরসিংদী আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম, নরসিংদী পৌরসভার কাউন্সিলর মাহবুব আলম ভূইয়া। স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিস্টিক আইডিয়াল স্কুলের চেয়ারম্যান ফেরদৌসি সুরতানা। এছাড়াও স্মরণ সভায় শিক্ষক, সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা মিস্টিক শিল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শফিকুল ইসলাম ২০১৮ সালের ১৯ মে থাইল্যান্ডের শ্রীরাজ জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
নরসিংদীর বিশিষ্ট শিল্পপতি ও উদ্যোক্তা মিস্টিক শিল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মো: শফিকুল ইসলাম এর ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল শুক্রবার বিকেলে মিস্টিক আইডিয়াল স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিস্টিক আইডিয়াল স্কুল-এর আয়োজনে উক্ত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদী পৌর সভার মেয়র মো: আমজাদ হোসেন বাচ্চু। মিস্টিক আইডিয়াল স্কুল এর প্রধান শিক্ষক মোঃ মোরশেদ সরকার এর সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, কুমিল্লার উপ-পরিচালক, মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ আলোচক ছিলেন, নরসিংদী ইনডিপেনডেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান, নরসিংদী আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম, নরসিংদী পৌরসভার কাউন্সিলর মাহবুব আলম ভূইয়া।
পাবনায় হাইটেক পার্কের উদ্যোগে নারীদের মাসব্যাপী ই-কমার্স প্রশিক্ষণ
পাবনা জেলায় নারীদের মাসব্যাপী প্রফেশনাল ই-কমার্স প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।  কালিয়াকৈর হাইটেক ও অন্যান্য হাইটেক পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ১৩ জানুয়ারি থেকে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।  মোট ২৫ জন নারীকে ২০টি ক্লাসের মাধ্যমে ৮০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মো. ইকরাম উদ্বোধনী ক্লাসে বলেন, বর্তমান সরকার নারীদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে চায়। তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ই-কমার্স প্রশিক্ষণের এ উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর একজন প্রশিক্ষণার্থী ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা করার ব্যাপারে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। পাবনা জেলার কো-অর্ডিনেটর মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের এ ট্রেনিং প্রোগ্রামটিতে যারা অনেক বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোর্স করার জন্য সুযোগ পেয়েছেন, তাদেরকে এ সুযোগটি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। উদ্বোধনী ক্লাসে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান রাজু বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশেও আলীবাবা, অ্যামাজনের মতো বিশ্ব বিখ্যাত ই-কমার্স ব্যবসা গড়ে উঠবে। হাইটেক পার্কের এ প্রশিক্ষণের উদ্যোগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা পরিশ্রম করলে তারাই একদিন এ রকম বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবে।
পাবনা জেলায় নারীদের মাসব্যাপী প্রফেশনাল ই-কমার্স প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
সেই পুলিশকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি, নইলে আন্দোলনের হুমকি
দিনদুপুরে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মারধর ও লাথি মারা ট্রাফিক পুলিশের সেই এএসআই শাহে আলমকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার দাবি উঠেছে। গত ১৩ জানুয়ারি বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আওলাদ হোসেন হাওলাদারকে নির্যাতন করেন ভোলা ট্রাফিক পুলিশের ওই এএসআই শাহে আলম।  প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই নির্যাতনের ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। যুগান্তরসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এর পরই ওই বিতর্কিত পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।  একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।  কিন্তু এটি প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিনের ভোলা-চরফ্যাশন সড়কে মানববন্ধন করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।  মানববন্ধনে বক্তারা ওই বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যখ্যান করে স্থায়ীভাবে বরখাস্তসহ কঠিন শাস্তির দাবি জানান।  এ সময় বক্তারা বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসন এর কঠোর পদক্ষেপ না নিলে উপজেলাবাসী কঠিন আন্দোলনে যাবেন।  তারা আরও বলেন, সারা দেশে পুলিশের অতি উৎসাহী কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো পুলিশ প্রশাসন আজ বিতর্কিত হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এসব পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।  মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জসীমউদ্দিন হায়দার, যুগ্ম সম্পাদক জসিমউদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন সিকদার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জোহেব হাসান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সাম্পাদক পলাশ বিশ্বাস প্রমুখ।  এদিকে পুলিশ কর্তৃক এমন নির্যাতনের বিচার চেয়ে বাংলাদের মানবাধিকার চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা।
দিনদুপুরে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে মারধর ও লাথি মারা ট্রাফিক পুলিশের সেই এএসআই শাহে আলমকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার দাবি উঠেছে।
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেদ আলী (৫৮) হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সহিদ মিয়া নামে অপর আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহা. আবু তাহের আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন মো. আমিনুল হক, মো. রতন মিয়া, মো. রিপন মিয়া, মো. নুর উদ্দিন, মো. দুলাল মিয়া, মো. মোস্তফা, আবদুর রাশিদ, মো. আবু সাহিদ এবং মো. নূর উদ্দিন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বীর হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহেদ আলী রিকশাযোগে বাড়ি ফেরার সময় পার্শ্ববর্তী পিপলাকান্দি গ্রামের নূর উদ্দিনের সঙ্গে আসামিদের পূর্বশত্রুতা ছিল। এর জের ধরে ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল বিকালে সাহেদ আলী রিকশাযোগে বাড়ি ফেরার সময় পার্শ্ববর্তী পিপলাকান্দি গ্রামের নূর উদ্দিনের বাড়ির সামনের রাস্তায় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায় আসামিরা। হামলায় গুরুতর আহত সাহেদ আলীকে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কিশোরগঞ্জ জেলারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকলে সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ২০ দিন পর ২৪ এপ্রিল মৃত্যু হয় সাহেদ আলীর। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ৯ এপ্রিল ১০ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৭ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেদ আলী (৫৮) হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সহিদ মিয়া নামে অপর আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
রাকাব পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) পরিচালনা পর্ষদের ৪৯০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আলমগীর এবং পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে- রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, মৎস্য অধিদফতর রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক রেজাউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সভায় ব্যাংকের সার্বিক কর্মকাণ্ডের ওপর আলোচনা হয়। পরে ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) পরিচালনা পর্ষদের ৪৯০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিয়ামতপুরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে। আহতরা হলেন উপজেলার খড়িকাডাংগার মনসুর আলীর ছেলে মজিদুল (২২), কুমারগাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহফুজ (২০), দরগাপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রমজান আলী (২১) ও রামনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সজিব মাসুদ (১৯)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মাহফুজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের একটি মিছিল নিয়ামতপুর কলেজ থেকে শুরু হয়ে তা উপজেলা পরিষদের দিকে যায়। পথে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে গেলে মিছিলের ওপর অপর গ্রুপ হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনজনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান চৌধুরী রিপন জানান, বুধবার খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ আসনের এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার নিয়ামতপুরে আসছেন। এ জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে রাহি মোস্তাকিম, নোমান, খোরশেদ, বিপ্লব ও হৃদয়ের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল রড়, লাঠি নিয়ে মিছিলের ওপর হামলা করে। তিনি জানান, এতে মজিদুল, মাহফুজ, রমজান ও সজিব মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাদের নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাহফুজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়ামতপুর থানার ওসি তোরিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছের সঙ্গে ধাক্কায় মাইক্রো খাদে, নিহত ৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ইসলামপুরের বীরপাশা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন- ঢাকার খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে হাসান জামান (৩২), একই এলাকার অপু মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী অপু (২২), রিজন সালেহিন (২৮) ও পরশ (২৫)। খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ হোসেন সরকার জানান, দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ মাইক্রো যাত্রী নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন তিনজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ওসি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাটে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট
অনিয়মের প্রতিবাদে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে দুই মাসের মাথায় ব্যবসায়ীরা দুবার ধর্মঘটের ডাক দিলেন।  ধর্মঘটের ফলে সপ্তাহের নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার হাট মেলেনি। হাটে আসেননি ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও। হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন হাটে আসা ক্রেতাসাধারণ ও দর্শনার্থীরা। এতে লাখ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা।  তবে সহসা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলছেন হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি।  সীমান্ত হাট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জানান, হাটে ভারতীয় ক্রেতা প্রবেশে বাধা দেয়া, ভারতে এ দেশীয় পণ্য ৩-৫ কেজির ওপর নিতে না দেয়া, ভারতের প্রশাসনের অসহযোগিতা, বাংলাদেশি অসাধু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রচুর ভারতীয় পণ্য এ দেশে প্রবেশ এবং তাদের দ্বারা (অসাধু ব্যবসায়ী) হাটের এ দেশীয় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাহীনতা, হাটে বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়।  সমাধানের জন্য গেল ২২ নভেম্বর এবং ১৩ জানুয়ারি ফেনী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু প্রশাসন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সন্তোষজনক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
অনিয়মের প্রতিবাদে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে দুই মাসের মাথায় ব্যবসায়ীরা দুবার ধর্মঘটের ডাক দিলেন।
সিলেটের ট্রাফিক ডিসি মাইক্রোফোন হাতে সড়কে!
সিলেট নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গলদঘর্ম ট্রাফিক পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে জনগণকে সচেতনতার আহ্বান জানালেন মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ।  সোমবার রাত থেকে অটোরিকশার পেছনের সিটে বসে তিনি রাস্তায় দোকানপাট না বসানোর আহ্বান জানান।  বিভিন্ন সময় সড়কের শৃঙ্খলায় পুলিশ কর্মকর্তাদের সচেতনমূলক কাজ দেখলেও এভাবে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে অটোরিকশায় বসে মাইক্রোফোন হাতে সম্ভবত আর দেখেনি সিলেটবাসী। এ অবস্থায় যারা তাকে চেনেন তারা সাধুবাদ জানালেন। জনগণের আশার বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশের প্রতিটা সদস্যই কাজ করছে। হয়তো সময়ের প্রয়োজনে তিনি নিজেও মাইক্রোফোন হাতে নিয়েছেন। নগরীর সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়মিত প্রচার চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর হবেন বলে জানান ফয়সাল মাহমুদ।  তিনি বলেন, নিজেকে সফল মনে করবেন- যখন জনগণ নিজে থেকে শহর সুন্দর করার কাজে এগিয়ে আসবে। সোমবার সন্ধ্যার পর নগরীর চৌহাট্টা থেকে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেন ডিসি ফয়সাল মাহমুদ। এ সময় অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে থাকলেও মাইক্রোফোন হাতে নেন নিজে। এভাবে প্রচার চলে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, সুরমা মার্কেট হয়ে ক্বিন ব্রিজ পর্যন্ত।
সিলেট নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গলদঘর্ম ট্রাফিক পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে জনগণকে সচেতনতার আহ্বান জানালেন মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ।
নীলফামারীতে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে খলিল (২৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া সীমান্তে। খলিল ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতনাই গ্রামের শমসের আলীর ছেলে। তিনি মাদককারবারি ছিলেন বলে জানায় বিজিবি। জানা যায়, ফেনসিডিল নিয়ে আসার সময় খলিল ৪৯১ নম্বর মূল পিলারের ভেতরে প্রবেশ করলে বিএসএফের ভুজারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।  বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড রংপুর-৫১ সেক্টরের দায়িত্বে বালাপাড়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোবারক ইসলাম বলেন, নিহত খলিল ফেনসিডিল ব্যবসায়ী ছিলেন। লাশ ফেরত চেয়ে ভুজারীপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে চিঠি দেয়া হয়েছে। দুপুরে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হবে।  বৈঠক শেষে বিএসএফ লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে খলিল (২৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
পদ্মার চরে বিজিবির গুলি, অস্ত্র ফেলে পালালেন ভারতীয়রা
রাজশাহীর চারঘাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের ফাঁকা গুলিতে ভারতীয় চোরাকারবারিরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেছে। এ  সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে পদ্মা নদীর চর থেকে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রকারবারিরা পালিয়ে যায়।  বিজিবির-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, সোমবার মধ্যরাতে বিজিবির একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারঘাটের নিচে পদ্মা নদীর চর মমতার কলাবাগান এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকে।  এ সময় ভারত থেকে অবৈধভাবে ৪-৫ জনের একটি চোরাকারবারির দল বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। বিজিবি ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে এতে চোরাকারবারিরা একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগজিন ফেলে পালিয়ে যায়।  পরে সেখান থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে বিজিবি। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীর চারঘাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের ফাঁকা গুলিতে ভারতীয় চোরাকারবারিরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় কালকিনিতে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে রূপম আকন (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কালকিনি পৌর এলাকার চরঝাউতলা গ্রামে। আহত শুকতারা কালকিনি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে একই এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। ঘাতক রূপম কালকিনির সাহেবরামপুর এলাকার সালাম আকনের ছেলে।  স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কালকিনি থানার এসআই জসিমউদ্দিন জানান, স্কুল আসা-যাওয়ার পথে একই এলাকার রূপম আকন মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মেয়েটি তা প্রত্যাখ্যান করেন। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছিল শুকতারা। বাড়ির পাশের রাস্তায় একা পেয়ে বখাটে রূপম তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  এ ঘটনার পর থেকে রূপম পলাতক রয়েছেন। মেয়েটির পক্ষ থেকে মামলা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এসআই।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে রূপম আকন (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সাভারে কারখানায় ফিরছেন শ্রমিকরা
সরকার ঘোষিত মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণের পর আন্দোলন শেষে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।  মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। জানা যায়, সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকালে দলবেঁধে কাজে যোগ দিয়েছেন।  সাভার ও আশুলিয়ার কারখানাগুলোর শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা সরকার ঘোষিত মজুরি কাঠামো মেনে নিয়েছেন। সকাল থেকে কোনো কারখানায় অপ্রীতিকর বা অসন্তোষ ঘটনা ঘটেনি। সকালে আশুলিয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, জামগড়া, বেরন ও নরসিংহপুর এলাকার এশিয়া নিটওয়্যার লি. জামগড়ার পলমল, হামীম গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ ও উইনডিসহ সব কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন। সাভার ও আশুলিয়ার যেসব কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেগুলোও সকালে খুলেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা মনের খুশিতে কারখানায় যোগ দিয়েছেন। কোনো প্রকার দ্বিধা বা আন্দোলনের ফলে মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হওয়ার কোনো অবকাস নেই। সকালে শ্রমিকরা দলে দলে কারখানায় যোগ দেয়ায় মালিক ও শ্রমিক উভয়ই আনন্দিত। এ ব্যাপারে পোশাক শ্রমিকদের নেতৃবৃন্দ জানান, দীর্ঘ আট দিন আন্দোলন করার পর শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে শ্রমিকদের আন্দোলন ছিল যৌক্তিক। কারখানা কর্তৃপক্ষ সরকার ঘোষিত শ্রমিকদের বেতন কাঠামো মেনে নেয়ায় সরকার ও মালিকপক্ষকে শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ ধন্যবাদ জানান। এদিকে সাভার ও আশুলিয়ার বাড়িওয়ালারা জানিয়েছেন, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা আগামী দুবছর কোনো বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করবে না।  শিল্প পুলিশ-১ সূত্রে জানা যায়, সাভার ও আশুলিয়ার সব কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা নেই। তবে কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যাতে কোনো দুষ্টচক্র ঝামেলার সৃষ্টি করতে না পারে।  পুলিশের গাড়ি মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানের অতিরিক্ত মানুষের ভিড় যেন না থাকে, সে লক্ষ্যে কাজ করছে।
সরকার ঘোষিত মজুরি কাঠামো পুনর্নির্ধারণের পর আন্দোলন শেষে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
ফরিদপুরে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা লুৎফর আটক
ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি লুৎফর মোল্লাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ভাঙ্গা বাজারে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন, ২০০ পিস ইয়াবা এবং একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-ম-০০-০৪৩৪) উদ্ধার করা হয়। তিনি কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের মৃত্যু গিয়াস মউরীর ছেলে বলে জানা যায়। লুৎফর মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্য অস্ত্র, ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছিলেন। তাকে ধরতে আইনশৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসছিল। অবশেষে সোমবার রাতে ভাঙ্গা বাজারে অস্ত্র ও ইয়াবা বিক্রির সময়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে। তার বিরুদ্বে নিরহ মানুষকে নির্যাতন অত্যাচার, ফ্ল্যাট দখল, জমি দখল ও চাদাঁবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে ভাঙ্গাবাসী লুৎফরের বিরুদ্ধে র‌্যাব, ডিবি, এনএসআই, এসপি, ডিসি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর অসংখ্য নিরীহ মানুষ অভিযোগ করেছিলেন। এছাড়া ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক হাজী আ. মান্নানের বাসায় এসেও ৭৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ছিলেন এ ছাত্রলীগ নেতা। এব্যাপারে এডিশনাল এসপি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি লুৎফরকে অস্ত্র ও মাদকসহ ডিবি পুলিশ আটক করেছে।   ডিবির ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ও অস্ত্র বেচা-কেনা করার সময় ভাঙ্গা বাজারে অভিযান চালিয়ে বিদেশি ও ইয়াবা বিক্রির সময়ে লুৎফরকে প্রাইভেট কারসহ আটক করা হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি লুৎফর মোল্লাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ভাঙ্গা বাজারে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন, ২০০ পিস ইয়াবা এবং একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-ম-০০-০৪৩৪) উদ্ধার করা হয়। তিনি কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের মৃত্যু গিয়াস মউরীর ছেলে বলে জানা যায়। লুৎফর মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্য অস্ত্র, ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছিলেন। তাকে ধরতে আইনশৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসছিল। অবশেষে সোমবার রাতে ভাঙ্গা বাজারে অস্ত্র ও ইয়াবা বিক্রির সময়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে। তার বিরুদ্বে নিরহ মানুষকে নির্যাতন অত্যাচার, ফ্ল্যাট দখল, জমি দখল ও চাদাঁবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে ভাঙ্গাবাসী লুৎফরের বিরুদ্ধে র‌্যাব, ডিবি, এনএসআই, এসপি, ডিসি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর অসংখ্য নিরীহ মানুষ অভিযোগ করেছিলেন। এছাড়া ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক হাজী আ. মান্নানের বাসায় এসেও ৭৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ছিলেন এ ছাত্রলীগ নেতা। এব্যাপারে এডিশনাল এসপি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি লুৎফরকে অস্ত্র ও মাদকসহ ডিবি পুলিশ আটক করেছে। ডিবির ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা ও অস্ত্র বেচা-কেনা করার সময় ভাঙ্গা বাজারে অভিযান চালিয়ে বিদেশি ও ইয়াবা বিক্রির সময়ে লুৎফরকে প্রাইভেট কারসহ আটক করা হয়েছে।
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় মা নিহত, মেয়ে-নাতনি আহত
রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড এলাকায় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রহিমা বেগম (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে নাসিমা বেগম (৪২) ও নাতনি মেঘা মনি (১০) আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাজার রোড এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত রহিমা বেগম নাটোর সদর উপজেলার খোলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাজার রোড এলাকায় এই তিনজন একসঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ধাক্কায় তারা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রাত পৌনে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রহিমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত নাসিমা বেগম ও মেঘা মনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের নাতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তারা গ্রামের বাড়ি নাটোর আমার মোহাম্মদপুরের বাসায় বেড়ানোর জন্য ঢাকা আসেন। আমি তাদেরকে রিসিভ করার জন্য গাবতলী যাই। সেখান থেকে আমরা চারজন রাস্তা পার হওয়ার সময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাসের ধাক্কায় তিনজন আহত হয়। তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে নানি রহিমা বেগমকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আহত দুজন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড এলাকায় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় রহিমা বেগম (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে নাসিমা বেগম (৪২) ও নাতনি মেঘা মনি (১০) আহত হয়েছেন।
আত্মহত্যায় প্ররোচনায় স্ত্রী মিতুর শাস্তি কী হতে পারে?
সম্প্রতি বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। পারিবারিক কারণ থেকে শুরু করে স্কুলশিক্ষার্থীরাও হত্যার মতো জঘন্য কাজটি করছে।আত্মহত্যা মহাপাপ বিষয়টি আমরা জানি। তবে মানুষ যখন নিজের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখন আত্মহননের পথটি বেছে নেয় বলে মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।    গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার থেকে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের লাশ উদ্ধার করা হয়। দাম্পত্য কলহের কারণে আত্মহত্যা করেন এই চিকিৎসক।  মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে তিনি নিজের ফেসবুকে স্ত্রীর উদ্দেশে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটিতে স্ত্রীর প্রতি তার অভিমান ও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। ডা. আকাশ স্ট্যাটাসে স্ত্রীর উদ্দেশে লেখেন- ‘ভালো থেকো, আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকাদের (প্রেমিকদের) নিয়ে।’ নিহত আকাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। তিনি এমবিবিএস শেষ করে এফসিপিএস পড়ছিলেন। এর আগে নিজের ফেসবুকে আরও কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন আকাশ। যেগুলো দেখলে যে কেউ বুঝবেন, আকাশ প্রচণ্ড অভিমান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। স্ত্রীর আচরণে বিরক্ত ছিলেন তরুণ এ চিকিৎসক। স্ত্রীর চরিত্র নিয়েও খোলামেলা লিখেছেন তিনি। স্ত্রী তানজিলা হক মিতুর প্রতি পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন আকাশ। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় মোস্তফা মোরশেদের মা জোবেদা খানম এ মামলা করেন। মামলায় স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।  চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় ওসি আবুল বাসার যুগান্তরকে বলেন, চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ৩০৬ ধারায়  তার স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) যুগান্তরকে বলেন, ডা. আকাশ মৃত্যুর ঘটনাটি অবশ্যই আত্মহত্যায় প্ররোচনার। তার ফেসবুকের স্ট্যাটাস থেকে এটা স্পষ্ট যে ডা. আকাশ দাম্পত্য জীবনে সুখী ছিলেন না। তিনি প্রচণ্ড মানসিক চাপে আত্মহত্যার করেছেন। প্ররোচনা কীভাবে হতে পারে? মানুষকে নেতিবাচকভাবে ও মানসিকভাবে আকার-ইঙ্গিত বা কাজের দ্বারা দুর্বল করে তার বেঁচে থাকাটা অর্থহীন করে তোলা যায়। কোনো মানসিক রোগীকে যদি বোঝানো হয় যে, সে সমাজের পরিবারের বোঝা, তাকে দিয়ে কিছু হবে না। তার বেঁচে থাকাটা অপ্রয়োজনীয়, তবে তা আত্মহত্যায় প্ররোচনাদায়ক। অমুককে বাঁচানোর জন্য তমুককে বিপদে ফেলে দেয়া প্ররোচনা। তিলে তিলে কারও স্বপ্ন আশা ভেঙে দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা। তীব্র অপমান, তুচ্ছতাচ্ছিল্য, উত্তেজিত করা কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা। আইন কী বলে? বাংলদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩০৬ ধারা অনুযায়ী-ব্যক্তির আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তি ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানা। তবে আত্মহত্যা করতে গিয়ে না মরলে আপনাকে আত্মহত্যা বা নিজেকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার অপরাধে এক বছরের জেলে যেতে হতে পারে। দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারামতে, যদি আপনি আত্মহত্যা করার উদ্যোগ নেন এবং অনুরূপ অপরাধ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করেন তা হলে আপনার এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে বা উভয় শাস্তিই হতে পারে।
সম্প্রতি বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনা। পারিবারিক কারণ থেকে শুরু করে স্কুলশিক্ষার্থীরাও হত্যার মতো জঘন্য কাজটি করছে।আত্মহত্যা মহাপাপ বিষয়টি আমরা জানি। তবে মানুষ যখন নিজের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তখন আত্মহননের পথটি বেছে নেয় বলে মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।
হেফাজত আমিরের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শুক্রবার বিকালে হাটহাজারীতে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে আল্লামা শফীর সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবারে সফরটিকে ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও নানুপুরের পীর সাহেবের মাহফিলে এসেছিলাম। সেখান থেকে আসার পথে দেশের একজন শ্রদ্ধেয় ও সবচেয়ে সম্মানিত দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা শফীর দোয়া নিতে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় এসেছি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা হেফাজত আমিরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ঢাকার টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুরে জামেয়া ইসলামিয়া ওবায়দিয়া মাদ্রাসার সফর শেষে সড়কযোগে বিকাল সোয়া ৩টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটি ছিল তার দ্বিতীয় সফর। এ সময় হেফজত নেতা ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুফতি জসিম, মাওলানা ইয়াহিয়া ও হেফাজত আমিরের ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী তাকে মাদ্রাসায় ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এরপর মন্ত্রী বিকাল ৩টা ২৩ মিনিটে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে হেফাজত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার কার্যালয়ে যান এবং মন্ত্রী হেফাজত আমিরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় আমিরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন মন্ত্রী। এ সময় সাতকানিয়ার এমপি আবু রেজা চৌধুরী নদভী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ডিআইজি (ভারপ্রাপ্ত) রোকন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ মশিউদ্দৌলা রেজা, হাটহাজারী সর্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম, ইউএনও রুহুল আমিন, হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক শেখ আহমদ, মুফতি জসীমুদ্দীন, মাওলানা ওমর, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা ফোরকান, মাওলানা ইয়াহয়া, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, হেফাজত নেতা মঈনুদ্দিন রুহি, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আবু সাঈদ, হেফাজত আমিরের একান্ত ব্যক্তিগত সচিব মাওলানা শফিউল আলমসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও হেফাজত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে হেফাজত আমিরের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধে হেফাজত আমির নিজেই মোনাজাত পরিচালনা করেন। হেফাজত আমির মুনাজাত শেষ করে তার কার্যালয় সঙ্গে সংযুক্ত বিশ্রামাগারে প্রবেশ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিনিট চারেক মাদ্রাসার শিক্ষক ও হেফাজত নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের হেফাজত আমিরের বিশ্রামাগারে প্রবেশ করেন এবং একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় হেফাজত আমির আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ঢাকার টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে কথা তুলেন এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এ ছাড়া হেফাজত আমির শনিবার থেকে ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়নের দাবি জানালে তাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেনে নেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজত ইসলামের এক শীর্ষ নেতা। এদিকে বিকাল ৩টা ৫২ মিনিটে হেফাজত আমিরের কার্যালয় থেকে মন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বের হন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন।
হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শুক্রবার বিকালে হাটহাজারীতে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে আল্লামা শফীর সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমরা যতই যান্ত্রিক হই বইয়ের চাহিদা শেষ হবে না
অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শুক্রবার বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী বই মেলার পর্দা উঠলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বইমেলা কেবল বই কেনাবেচার জন্য নয়, বইমেলা বাঙালির ‘প্রাণের মেলা’। তিনি বলেন, যতই আমরা যান্ত্রিক হই না কেন, বইয়ের চাহিদা কখনো শেষ হবে না। নতুন বইয়ের মলাট, বই শেলফে সাজিয়ে রাখা, বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে, আমরা সবসময় তা পেতে চাই। এ সময় তিনি নিরাপত্তার বেড়াজালের কারণেই নিয়মিত বইমেলায় আসতে না পারার কষ্টের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন এই মেলায় অনবরত ঘুরে বেড়াতাম। আর এখন অনেকটা বন্দি জীবন, এখন ইচ্ছা থাকলেও আসা যায় না। আর আসলেও অন্যের অসুবিধা হয়।সত্যি কথাটা কি, মনটা পড়ে থাকে বইমেলায়। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষ, মিসরীয় লেখক-গবেষক মুহসেন আল আরিসি। বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রী এবারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া চারজনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।  কবিতায় কবি কাজী রোজী, কথাসাহিত্যে মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল, প্রবন্ধ ও গবেষণায় বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যের জন্য গবেষক-কলামিস্ট আফসান চৌধুরী এবার এ পুরস্কার পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দা নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিসরীয় সাংবাদিক-গবেষক মুহসেন আল আরিসির লেখা ‘হাসিনা হাকাইক আসাতি’ বইটির একটি কপি এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। মুসলিম প্রধান একটি দেশে একজন নারী হয়ে নেতৃত্বে এসে শেখ হাসিনা কীভাবে মানুষের দিনবদলের রূপকার হয়ে উঠলেন, সেই বিবরণ এই বইয়ে তুলে ধরেছেন আরিসি। বইটির বাংলা তর্জমার শিরোনাম ‘শেখ হাসিনা: যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’। দুই মলাটের ভেতরে কাগুজে বইয়ের প্রতি ভালোবাসার কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এ বইকে ডিজিটাল দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, অনলাইনে বই থাকলে তা বিশ্বের সবার কাছে দ্রুত পৌঁছে যায়। ডিজিটাল লাইব্রেরি হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। দেশের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রভাষা আর ইতিহাস নিয়ে নতুন প্রজন্মকে জানাতে আরও বেশি বই প্রকাশের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।  জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবুও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমরা সত্যের পথে আছি: সালমা ইসলাম
দৈনিক যুগান্তরের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে পত্রিকাটির প্রকাশক, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছেন, আমরা সত্যের পথে আছি। সত্যের সংবাদে নির্ভীক থাকায় যুগান্তর আজ দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পত্রিকা। যুগান্তর সত্যের প্রতীক, এই প্রতীক নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। দেশের শীর্ষ দৈনিক যুগান্তর ২০ বছরে পা দিয়েছে আজ (১ ফেব্রুয়ারি)। এ উপলক্ষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় দৈনিক যুগান্তরের কনফারেন্স কক্ষে কেককাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জমকালো আয়োজন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঘরোয়া এ আয়োজনের মধ্যমণি যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসব কথা বলেন।  যুগান্তর প্রকাশক বলেন, অনেকেই সত্যের সন্ধানে নির্ভীক যুগান্তরে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। সত্য প্রমাণ করতে গিয়ে আমাকে মামলা লড়তে হয়েছে। আমরা আজ প্রমাণ করতে পেরেছি যুগান্তর সত্যের পথে আছে। তাই আমি আজকের দিনে বলতে চাই- যারা আমাদেরকে ভালোবেসেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, ২০ বছরে দৈনিক যুগান্তর আজ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক। এ সময়ে আমরা সত্য ও অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তবে কিছু মানুষ আমাদের ভালোবাসেনি। যারা দুর্নীতিবাজ, যারা অসত্যকে ধারণ করে বাঁচতে চায়, তাদের ভালোবাসা আমরা পাইনি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম বলেন, আজকের পত্রিকায় দেখলাম- বিশিষ্ট ব্যক্তি, যারা একসময় এমপি-মন্ত্রী ছিলেন, যারা নতুন নির্বাচিত হয়েছেন, প্রত্যেকে যুগান্তরের এই দীর্ঘ পথচলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা প্রত্যেকে বলেছেন- যুগান্তর একটি ভালো ও জনপ্রিয় পত্রিকা। যুগান্তর প্রকাশক বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, বহির্বিশ্বের মানুষও যুগান্তরকে অনেক ভালোবাসে। যুগান্তর ভালোবাসার এক প্রতীক- সত্যের প্রতীক।  সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুগান্তরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে অনেক মানুষ- আমাদের সাহসী সাংবাদিকরা; বিজ্ঞাপন বিভাগের তরুণ ছেলেরা। এই আনন্দঘন মুহূর্তে যুগান্তরের সাংবাদিক, অগণিত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।  তিনি বলেন, আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে যুগান্তরকে দেশের শ্রেষ্ঠ পত্রিকায় রূপান্তরিত করব, আরও উচ্চ আসনে নিয়ে যাব- এই হোক আজকের দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ।  অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, যুগান্তর আজ ১৯ বছর শেষ করে বিশ বছরে পা দিয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসার জন্য। আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করে আসছেন, ভালোবেসেছেন, আশা করি আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আশা করি আপনাদের কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে। যেন ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো করতে পারি। অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের পরিচালক (ফিন্যান্স) আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আজকের এই আনন্দের দিনে আমি যুগান্তর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যুগান্তরের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি- এ অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সাংবাদিক, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দৈনিক যুগান্তরের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে পত্রিকাটির প্রকাশক, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছেন, আমরা সত্যের পথে আছি। সত্যের সংবাদে নির্ভীক থাকায় যুগান্তর আজ দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পত্রিকা। যুগান্তর সত্যের প্রতীক, এই প্রতীক নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।
কোটি মানুষের হৃদয়ে যুগান্তর: সাইফুল আলম
আনন্দ আয়োজনে উদযাপিত দৈনিক যুগান্তরের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জমকালো এই আয়োজনে পত্রিকাটির কোটি কোটি পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম। তিনি বলেন, একটি পত্রিকার জীবনে ১৯ বছর খুব বেশি সময় নয়। এই অল্প সময়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে দৈনিক যুগান্তর। দেশের শীর্ষ এ কাগজটি আজ এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যে, কোনো পাঠক অন্য কোনো কাগজ পড়লেও যুগান্তর না পড়ার অতৃপ্তিতে ভোগেন। যুগান্তর না পড়লে তাদের কাছে মনে হয় পত্রিকাই পড়া হয়ে ওঠেনি। যুগান্তরের অসংখ্য পাঠকের কথা-উপলব্ধি এটি। পাঠকদের এ উপলব্ধিই যুগান্তরের অহংকারের জায়গা এবং গৌরবের জায়গা।  শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টায় দৈনিক যুগান্তরের কনফারেন্সকক্ষে কেককাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম এসব কথা বলেন।  সাইফুল আলম বলেন, আমাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা, আবেগ দিয়ে যে যুগান্তর আমরা ধারণ করি, আজ তা ২০ বছরে পা দিল, যা আমাদের অত্যন্ত গৌরবের ও আনন্দের। আমাদের অত্যন্ত প্রিয়জন যমুনা গ্রুপের চেযারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা। আমরা যে সাদাকে সাদা বলি, কালোকে কালো বলি- আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে অন্যায়ের যে প্রতিবাদ করি, এর প্রেরণা আমরা তার কাছ থেকে শুরু থেকেই পেয়ে আসছি। সাংবাদিকসহ যুগান্তরের পুরো পরিবারের যে কোনো বিপদ-আপদে তিনি অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়ান।  যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আজকের ঘরোয়া আয়োজনে আমরা পাশে একসঙ্গে পেয়েছি আমাদের প্রিয় তিন মানুষকে। তারা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম এবং পরিচালক (ফিন্যান্স) আবদুল ওয়াদুদ।  তিনি বলেন, আমাদের মান্যবর প্রকাশককে আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যিনি মা, বোন ও বন্ধুর মতো সর্বদা আমাদের পাশে থাকেন। তিনি আমাদের অভিভাবক। তাকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমাদের এই পথচলায় সার্বক্ষণিক আমাদের পাশে আছেন যমুনা গ্রুপের এমডি শামীম ইসলাম, আছেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) আবদুল ওয়াদুদ। তাদের দুজনের উপস্থিতিও আমাদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। যুগান্তর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় যুগান্তরের প্রাণশক্তি যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানের কারণে ঢাকার বাইরে থাকায় আজকের এই ঘরোয়া আয়োজনে আসতে পারেননি। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার সাহস, তার উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আমরা বেড়ে উঠছি। যুগান্তর পরিবার তার প্রতি কৃতজ্ঞ।  যুগান্তর পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাইফুল আলম বলেন, আপনারা সবাই কষ্ট করে এখানে উপস্থিত হয়েছেন এ জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের প্রতি আপনাদের প্রাণের যে ভালোবাসা সেটির প্রকাশ ঘটেছে।  যুগান্তরের স্বজন সমাবেশের কথা উল্লেখ্ করে তিনি বলেন, যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সংগঠন। দেশের ৬৪ জেলায় যুগান্তরের জন্মদিন উপলক্ষে র‌্যালি হবে, কেককাটা হবে। সারা দেশে যুগান্তরের বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য তারা আমাদের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে, তাদের প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা।  অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সাংবাদিক, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আনন্দ আয়োজনে উদযাপিত দৈনিক যুগান্তরের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জমকালো এই আয়োজনে পত্রিকাটির কোটি কোটি পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম।
রোহিঙ্গাদের দেখতে ঢাকায় আসবেন জোলি
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে বাংলাদেশে আসবেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত হিসেবে তিনি ঢাকা সফরে আসবেন বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, সব কিছু ঠিক থাকলে এ মাসের প্রথমভাগে জোলি ঢাকায় আসবেন। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নারীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা শুনে ঢাকায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন হলিউডের এ অভিনেত্রী।  ওই সালের নভেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল- ভ্যাঙ্কুভারে জাতিসংঘ পিসকিপিং মিনিস্টেরিয়েলে জোলি যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন।  তার আগে যৌন নিপীড়নবিষয়ক এক বৈঠকে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে জোলির সমর্থন চেয়েছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এর জবাবে জোলি বাংলাদেশ প্রতিনিধি লকে জানিয়েছেন, তিনি যৌন নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা নারীদের দেখতে বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।’ পরবর্তী সময়ে ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জোলি তার বক্তব্যে বলেছিলেন- ‘বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় প্রতিটি রোহিঙ্গা নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আগস্টের শেষ দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করলে প্রায় পৌনে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে বাংলাদেশে আসবেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব সীমাবদ্ধতা জয় করার প্রত্যয়ে যুগান্তরের ২০ বছরে পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় যুগান্তরের কনফারেন্স কক্ষে কেককাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঘরোয়া আয়োজন। যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুগান্তরের প্রকাশক, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম ও পরিচালক (অর্থ) আবদুল ওয়াদুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পত্রিকাটির প্রকাশক, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, আমরা সত্যের পথে আছি। সত্যের সংবাদে নির্ভীক থাকায় যুগান্তর আজ দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পত্রিকা। যুগান্তর সত্যের প্রতীক, এই প্রতীক নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। ‘অনেকেই সত্যের সন্ধানে নির্ভীক যুগান্তরে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। সত্য প্রমাণ করতে গিয়ে আমাকে মামলা লড়তে হয়েছে। আমরা আজ প্রমাণ করতে পেরেছি যুগান্তর সত্যের পথে আছে। তাই আমি আজকের দিনে বলতে চাই- যারা আমাদেরকে ভালোবেসেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, ২০ বছরে দৈনিক যুগান্তর আজ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৈনিক। এ সময়ে আমরা সত্য ও অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তবে কিছু মানুষ আমাদের ভালোবাসেনি। যারা দুর্নীতিবাজ, যারা অসত্যকে ধারণ করে বাঁচতে চায়, তাদের ভালোবাসা আমরা পাইনি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলাম বলেন, আজকের পত্রিকায় দেখলাম- বিশিষ্ট ব্যক্তি, যারা একসময় এমপি-মন্ত্রী ছিলেন, যারা নতুন নির্বাচিত হয়েছেন, প্রত্যেকে যুগান্তরের এই দীর্ঘ পথচলাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা প্রত্যেকে বলেছেন- যুগান্তর একটি ভালো ও জনপ্রিয় পত্রিকা। ‘শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, বহির্বিশ্বের মানুষও যুগান্তরকে অনেক ভালোবাসে। যুগান্তর ভালোবাসার এক প্রতীক- সত্যের প্রতীক।’ সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুগান্তরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে অনেক মানুষ- আমাদের সাহসী সাংবাদিকরা; বিজ্ঞাপন বিভাগের তরুণ ছেলেরা। এই আনন্দঘন মুহূর্তে যুগান্তরের সাংবাদিক, অগণিত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। তিনি বলেন, আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে যুগান্তরকে দেশের শ্রেষ্ঠ পত্রিকায় রূপান্তরিত করব, আরও উচ্চ আসনে নিয়ে যাব- এই হোক আজকের দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ। জমকালো এই আয়োজনে পত্রিকাটির কোটি কোটি পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম। তিনি বলেন, একটি পত্রিকার জীবনে ১৯ বছর খুব বেশি সময় নয়। এই অল্প সময়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে দৈনিক যুগান্তর। দেশের শীর্ষ এ কাগজটি আজ এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যে, কোনো পাঠক অন্য কোনো কাগজ পড়লেও যুগান্তর না পড়ার অতৃপ্তিতে ভোগেন। ‘‌‌‌‌‌‌যুগান্তর না পড়লে তাদের কাছে মনে হয় পত্রিকাই পড়া হয়ে ওঠেনি। যুগান্তরের অসংখ্য পাঠকের কথা-উপলব্ধি এটি। পাঠকদের এ উপলব্ধিই যুগান্তরের অহংকারের জায়গা এবং গৌরবের জায়গা।’ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম আরও বলেন, আমাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা, আবেগ দিয়ে যে যুগান্তর আমরা ধারণ করি, আজ তা ২০ বছরে পা দিল, যা আমাদের অত্যন্ত গৌরবের ও আনন্দের।  ‘আমাদের অত্যন্ত প্রিয়জন যমুনা গ্রুপের চেযারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা। আমরা যে সাদাকে সাদা বলি, কালোকে কালো বলি- আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে অন্যায়ের যে প্রতিবাদ করি, এর প্রেরণা আমরা তার কাছ থেকে শুরু থেকেই পেয়ে আসছি।’ তিনি বলেন, সাংবাদিকসহ যুগান্তরের পুরো পরিবারের যে কোনো বিপদ-আপদে তিনি অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়ান। যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আজকের ঘরোয়া আয়োজনে আমরা পাশে একসঙ্গে পেয়েছি আমাদের প্রিয় তিন মানুষকে। তারা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম এবং পরিচালক (অর্থ) আবদুল ওয়াদুদ। তিনি বলেন, আমাদের মান্যবর প্রকাশককে আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যিনি মা, বোন ও বন্ধুর মতো সর্বদা আমাদের পাশে থাকেন। তিনি আমাদের অভিভাবক। তাকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা আনন্দিত। ‘আমাদের এই পথচলায় সার্বক্ষণিক আমাদের পাশে আছেন যমুনা গ্রুপের এমডি শামীম ইসলাম, আছেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) আবদুল ওয়াদুদ। তাদের দুজনের উপস্থিতিও আমাদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।’ যুগান্তর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বলেন, আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় যুগান্তরের প্রাণশক্তি যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানের কারণে ঢাকার বাইরে থাকায় আজকের এই ঘরোয়া আয়োজনে আসতে পারেননি। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার সাহস, তার উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আমরা বেড়ে উঠছি। যুগান্তর পরিবার তার প্রতি কৃতজ্ঞ। যুগান্তর পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাইফুল আলম বলেন, আপনারা সবাই কষ্ট করে এখানে উপস্থিত হয়েছেন এ জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের প্রতি আপনাদের প্রাণের যে ভালোবাসা সেটির প্রকাশ ঘটেছে। যুগান্তরের স্বজন সমাবেশের কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, যুগান্তরের স্বজন সমাবেশ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সংগঠন। দেশের ৬৪ জেলায় যুগান্তরের জন্মদিন উপলক্ষে র‌্যালি হবে, কেককাটা হবে। সারা দেশে যুগান্তরের বার্তা পৌঁছে দেয়ার জন্য তারা আমাদের সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে, তাদের প্রতি জন্মদিনের শুভেচ্ছা। নুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, যুগান্তর আজ ১৯ বছর শেষ করে বিশ বছরে পা দিয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসার জন্য। আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করে আসছেন, ভালোবেসেছেন, আশা করি আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।  ‘আশা করি আপনাদের কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে। যেন ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’ অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আজকের এই আনন্দের দিনে আমি যুগান্তর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। যুগান্তরের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি- এ অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সাংবাদিক, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানে পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, কনসিটো পিআর, আইপিডিসি ও রানার গ্রুপের গণমাধ্যম প্রধান ওয়াহিদ মুরাদ যুগান্তরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সব সীমাবদ্ধতা জয় করার প্রত্যয়ে যুগান্তরের ২০ বছরে পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
ইসির ওয়েবসাইটে নেই ববি হাজ্জাজের দলের কোনো তথ্য
গেজেট প্রকাশের তিন দিন পরও ইসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকায় নাম ওঠেনি ববি হাজ্জাজের রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম)। শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ইসির ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা গেছে, দলটির নিবন্ধন নম্বর, নিবন্ধন তারিখ, প্রতীকের নাম, প্রতীক, প্রেসিডেন্ট, মহাসচিব, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা, ফোন, মোবাইল, ইমেইল ও ওয়েব অ্যাড্রেসসহ বিস্তারিত তথ্য নেই। ইসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত অন্য ৩৯ দলের তথ্য রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এনডিএম আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। ববি হাজ্জাজ দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। গত ৩০ জানুয়ারি ববি হাজ্জাজের রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে (এনডিএম) নিবন্ধন দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়, ‘সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনে (নম্বর-৮৮২০/২০১৮) বিগত ২১ অক্টোবর আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) চ্যাপ্টার ভিআইএ অনুযায়ী জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে (এনডিএম) পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করিয়েছে। এ দলের জন্য ‘সিংহ’ প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং এর নিবন্ধন নম্বর ০৪৩।’ ববি হাজ্জাজ ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে অংশ নিলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন এরশাদ। এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।
গেজেট প্রকাশের তিন দিন পরও ইসির ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকায় নাম ওঠেনি ববি হাজ্জাজের রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম)।
তুরস্কের জনসংখ্যা বাড়ছে
বিগত বছরগুলোর চেয়ে তুরস্কের জনসংখ্যা বেড়েছে। নতুন আদমশুমারীতে তুরস্কের মোট জনসংখ্যা বলা হয়েছে ৮২ মিলিয়ন ৩ লাখ ৮৮২ হাজার। খবর টিআরটির। তুরস্কের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে  আগের বছরের তুলনায় একলাখ তিরানব্বই হাজার তিনশত সাতান্নজন বেড়েছে। নতুন এ হিসেবমতে, সবমিলিয়ে তুরস্কের জনসংখ্যা এখন ৮২ মিলিয়ন ৩ লাখ ৮৮২ হাজারে পৌছেছে। জনসংখ্যার হিসেবে প্রথমে রয়েছে ইস্তাম্বুল । ১৫ মিলিয়ন ৬৭ লাখ সাত হাজার ৭২৪ মানুষ এ নগরীতে বসবাস করে।  ৫.৫ মিলিয়ন মানুষ নিয়ে আঙ্কারার অবস্থান দ্বিতীয়। ৪.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার আযমির শহর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিগত বছরগুলোর চেয়ে তুরস্কের জনসংখ্যা বেড়েছে। নতুন আদমশুমারীতে তুরস্কের মোট জনসংখ্যা বলা হয়েছে ৮২ মিলিয়ন ৩ লাখ ৮৮২ হাজার। খবর টিআরটির।
যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার চুক্তি প্রত্যাহারে অনিরাপদ ইউরোপ!
রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে এমন অভিযোগে দেশটির সঙ্গে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস বা মাধ্যমিক পর্যায়ের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে পুরো ইউরোপ জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইউরোপ মনে করছে এমন সিদ্ধান্ত তাদের জন্য অনিরাপদ। তবে ইইউ তাদের সম্পূর্ণ সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ ঘোষণা দিয়েছেন।পম্পেও বলেন, কোনো ধরনের অনুশোচনা ছাড়াই রাশিয়া ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তি ভঙ্গ করেছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চুক্তিটি রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র করেছিল। কিন্তু এটার গুরুত্বের প্রভাব ইউরোপিয়ানদের নিরাপত্তায় প্রভাব পড়বে।  ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) নামে মাইলফলক চুক্তিটি ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। ওই চুক্তিটির মাধ্যমে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে মাঝারি দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ নিষিদ্ধ করা হয়। এদিকে গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া চুক্তিটির শর্ত লঙ্ঘন করছে দাবি করে তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ১৯৮৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) নামের দ্বিপাক্ষিক এই মাইলফলক চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিটি ধরে রাখছে। কিন্ত রাশিয়া মিথ্যা বর্ণনা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে যাচ্ছে। শুক্রবার ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা পৃথিবীর একমাত্র দেশ না, যে একতরফা চুক্তি মানতে বাধ্য বা অন্য কেউ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যেটি ৩১০ থেকে ৩ হাজার ১০০ মাইল পর্যন্ত যেতে পারে, যা ইউরোপের জন্য হুমকি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে। প্রতিবেদনে ন্যাটো বলছে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির সারিতে রয়েছে এবং সম্পূর্ণ সমর্থন করছে। তবে রাশিয়া ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চুক্তি ভঙ্গ করে রাশিয়া নতুন মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নভেটর ৯এম৭২৯ তৈরি করেছে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে তা এসএসসি-৮ নামে পরিচিত। এ ঘটনায় খুব কম সময়ের মধ্যে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে পারমাণবিক ধর্মঘট চালু হতে পারে। তাছাড়া ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বারাক ওবামা আইএনএফ লঙ্ঘন করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার অভিযোগ এনেছিলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তবে ইউরোপীয় নেতাদের চাপের কারণে তিনি ওই চুক্তি প্রত্যাহার করা থেকে সরে যান।
রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে এমন অভিযোগে দেশটির সঙ্গে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস বা মাধ্যমিক পর্যায়ের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে পুরো ইউরোপ জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইউরোপ মনে করছে এমন সিদ্ধান্ত তাদের জন্য অনিরাপদ। তবে ইইউ তাদের সম্পূর্ণ সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বাতিল
রাশিয়ার সঙ্গে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস বা মাধ্যমিক পর্যায়ের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ ঘোষণা দিয়েছেন। পম্পেও বলেন, কোনো ধরনের অনুশোচনা ছাড়াই রাশিয়া ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তি ভঙ্গ করেছে। গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া চুক্তিটির শর্ত লঙ্ঘন করছে দাবি করে তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ১৯৮৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) নামের দ্বিপাক্ষিক এই মাইলফলক চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্ভাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিটি ধরে রাখছে। কিন্ত রাশিয়া মিথ্যা বর্ণনা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে যাচ্ছে। শুক্রবার ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা পৃথিবীর একমাত্র দেশ না, যে একতরফা চুক্তি মানতে বাধ্য বা অন্য কেউ। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ চুক্তিটি রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র করেছিল। কিন্তু এটার গুরুত্বের প্রভাব ইউরোপিয়ানদের নিরাপত্তায় প্রভাব পড়বে।   প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যেটি ৩১০ থেকে ৩ হাজার ১০০ মাইল পর্যন্ত যেতে পারে, যা ইউরোপের জন্য হুমকি। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে।   প্রতিবেদনে ন্যাটো বলছে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির সারিতে রয়েছে এবং সম্পূর্ণ সমর্থন করছে। তবে রাশিয়া ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।  যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, চুক্তি ভঙ্গ করে রাশিয়া নতুন মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নভেটর ৯এম৭২৯ তৈরি করেছে। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে তা এসএসসি-৮ নামে পরিচিত। এ ঘটনায় খুব কম সময়ের মধ্যে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে পারমাণবিক ধর্মঘট চালু হতে পারে। তাছাড়া ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বারাক ওবামা আইএনএফ লঙ্ঘন করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার অভিযোগ এনেছিলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তবে ইউরোপীয় নেতাদের চাপের কারণে তিনি ওই চুক্তি প্রত্যাহার করা থেকে সরে যান।
রাশিয়ার সঙ্গে ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস বা মাধ্যমিক পর্যায়ের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ভেনিজুয়েলায় সামরিক হামলা থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র!
ভেনিজুয়েলায় আসন্ন সামরিক হামলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। শুক্রবার তিনি হিউ হিউইট রেডিওর এক শোতে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ভেনিজুয়েলায় এত দ্রুত সামরিক অভিযান চালাবে না। তবে তিনি বলেন, পুনরাবৃত্তি ঘটলে এসব বিষয় টেবিলে রাখা আছে। খবর ইয়েনি শাফাক। শুক্রবার তিনি বলেন, যদিও মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ আসন্ন ছিল তবে এটি ব্রাজিল বা কলম্বিয়া অথবা তিনটি দেশের সমন্বয়ে এটি হতো। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলায় সামরিক আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত জোরগে ভ্যালেরো। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির পক্ষ থেকে এ বক্তব্য পাওয়া গেল। ভেনিজুয়েলা সরকারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ওই নিষেধাজ্ঞাকে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। খবর আলজাজিরা ও আনাদলুর। জাতিসংঘের উদ্যোগে নিউইয়র্কে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভ্যালেরো এ মন্তব্য করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভেনিজুয়েলা সরকারের করণীয় ঠিক করে দেয়ার অধিকার আছে কিনা তা জানতে চান তিনি। এ ছাড়া মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম রোববার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে ‘সামরিক ব্যবস্থা’ নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাহাম অবশ্য বলেন, তিনি এ কাজ থেকে ট্রাম্পকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বছরের মে মাসে ভেনিজুয়েলায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাদুরো। চলতি মাসের শুরুতে শপথ নেন বামপন্থী এ রাজনীতিক। তবে বিরোধীরা প্রথম থেকেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। তেলসমৃদ্ধ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার জন্য বিরোধীদের এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকাসহ বেশকিছু পশ্চিমা দেশ।
ভেনিজুয়েলায় আসন্ন সামরিক হামলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
চীনের ঋণের ফাঁদে এবার কেনিয়া, হারাচ্ছে সমুদ্রবন্দর
চীনের ঋণের ফাঁদে পড়েছে কেনিয়া সরকার। সময়মতো যদি চীনের ঋণ পরিশোধ করা না হয় তাহলে দেশটির প্রধান সমুদ্রবন্দর মমবাসা পোর্টের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছরের মধ্যে কেনিয়াকে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।  এ বছর জুনে চীনের দেওয়া পাঁচ বছরের ‘গ্রেস টাইম’ শেষ হয়ে যাবে। ফলে জুলাই থেকে কেনিয়াকে প্রতি বছর আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে। চীনের আর্থিক সহায়তায় ২০১১ সালে নাইরোবি-মমবাসা রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি স্বাধীনতার পর কেনিয়ায় সবচেয়ে বৃহৎ ও ব্যয়বহুল অবকাঠামো নির্মাণ। দেশটির রাজধানী নাইরোবি থেকে মমবাসা সরাসরি রেল যোগাযোগের জন্য স্ট্যান্ডার্ড গেজ রেলওয়ে (এসজিআর) নির্মাণে কেনিয়া সরকার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। কেনিয়ার অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম TUKO.co.ke সংবাদমাধ্যম জানায়, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত এক্সিম ব্যাংক মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ ঋণ দিতে রাজি হলে ২০১৪ সালের ১১ মার্চ দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়।  এসজিআর নামে ওই ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের সময় কেনিয়া নিজেদের সম্পদ রক্ষার সার্বভৌম ক্ষমতা ত্যাগ করেছিল ফলে ওই চুক্তির শর্তাবলী চীনা আইন অনুযায়ী পরিচালিত। এতে কেনিয়া সরকারের নিজেদের সম্পদ রক্ষার কোনো অধিকার নেই। ফাঁস হওয়া একটি চুক্তিপত্রে দেখা যায়, চীনের এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া প্রায় ২০০ কোটি ইউরো যদি কেনিয়ার ন্যাশনাল রেলওয়ে কর্পোরেশন সময়মতো পরিশোধ করতে না পারে তবে চীন সরকার দেশটির মমবাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে। কেনিয়ার সবচেয়ে বড় এবং লাভজনক বন্দর এটি।  এর আগে গভীর সমুদ্র বন্দর হাম্বানতোতা বন্দর নির্মাণে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে শ্রীলঙ্কা। চুক্তি অনুসারে বন্দরটির নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে শ্রীলঙ্কা ১১০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে। হাম্বানতোতা বন্দরটি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত। চীনের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড উদ্যোগে বন্দরটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই বন্দরটি চীন ও ইউরোপের বন্দর ও সড়ককে সংযুক্ত করবে।  চুক্তি অনুসারে, চীনের একটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ পাবে। একই সঙ্গে কাছের একটি শিল্পাঞ্চলে ১৫ হাজার একরের মালিকানাও পাবে চীনা কোম্পানিটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চীনের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, বন্দরটি শুধু বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হবে।  বন্দরটি চীন ও ইউরোপে বাণিজ্যে প্রধান সমুদ্র পথে পরিণত হবে। চীনের সামরিক বাহিনী বন্দরটি ব্যবহার করবে এই আশঙ্কায় কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়ার পর শনিবার চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলো। শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে বিদেশি ঋণশোধ করা সম্ভব হবে।  চুক্তি বাস্তবায়ন করতে কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে উচ্ছেদ করতে হবে। তবে শ্রীলঙ্কার সরকার জানিয়েছে, উচ্ছেদ হওয়া গ্রামবাসীদের নতুন ভূমি দেওয়া হবে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ অবসান হওয়ার পর থেকে কয়েকশ কোটি ডলার অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করেছে চীন। এ ছাড়া ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়ের কেনেথ কউণ্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয় চীন। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় চীন এমন এটি নিয়ে নেয়। ২০১৭ সালে হাম্বানটোটা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এই ঘটনা চীন সরকারের বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তারে অবকাঠামো উন্নয়নের নামে ঋণ ও সাহায্যকে হাতিয়ার বানানোর একটি উদাহরণ মাত্র। চীন ঋণ আদায়ে কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে এটা সে কথাও বলছে।
চীনের ঋণের ফাঁদে পড়েছে কেনিয়া সরকার। সময়মতো যদি চীনের ঋণ পরিশোধকরা না হয় তাহলে দেশটির প্রধান সমুদ্রবন্দর মমবাসা পোর্টের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১৫ বছরের মধ্যে কেনিয়াকে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
ভেনিজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ যাচ্ছে আমিরাত!
ভেনিজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে ইউনাইটেড আরব আমিরাতে ১৫ টন স্বর্ণ বিক্রি করবে দেশটি। নগদ ইউরোর জন্য এ স্বর্ণ বিক্রি করা হচ্ছে। এমন পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওপেক সদস্য থাকার জন্য এমন চেষ্টা। খবর ইয়েনি শাফাক। দেশটির রিজার্ভ থেকে মুদ্রায় ফিরতে জানুয়ারির ২৬ তারিখে ৩ টন স্বর্ণ বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি সূত্রমতে গত বছরের শেষের দিকে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত স্বর্ণ তুরস্কে বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কারকাস থেকে ২৯ টন স্বর্ণ ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, নভেম্বরে ভেনিজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মধ্যে ১৩২ টন স্বর্ণ রফতানি করা হয়েছিল।  তেল রফতানি পতনের ফলে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মুদ্রাস্ফীতি কমাতে দেশটির রিজার্ভ থেকে স্বর্ণ বিক্রির উদ্যোগ নেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ভেনিজুয়েলার অর্থনীতি পতনের দিকে যাচ্ছে।  দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভেনিজুয়েলার সমাজতন্ত্রী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদলীয় নেতা জোয়ান গুইডোকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে জোয়ান গুইডো বুধবার নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বেশ কয়েকটি দক্ষিণ আমেরিকার দেশও তাকে সমর্থন জানিয়েছে। ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থার 'পিডিভিএসএ' ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।  নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার কয়েক মিনিট আগে, হুয়ান গুয়াইদো বলেন, কংগ্রেস পিডিভিএসএ এবং এর মার্কিনভিত্তিক সহায়ক কোম্পানি সিটগোর পরিচালকদের নতুন বোর্ড ঘোষণা করবে। গুয়াইদোকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশির ভাগ পশ্চিমা দেশ সমর্থন দিয়েছে। তাদের মতে, মাদুরো নির্বাচনে কারচুপি করেছেন। মাদুরোর উচিত পদত্যাগ করে নতুন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
ভেনিজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে ইউনাইটেড আরব আমিরাতে ১৫ টন স্বর্ণ বিক্রি করবে দেশটি। নগদ ইউরোর জন্য এ স্বর্ণ বিক্রি করা হচ্ছে। এমন পরিকল্পনা নিয়ে দেশটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওপেক সদস্য থাকার জন্য এমন চেষ্টা। খবর ইয়েনি শাফাক।
হাতি-ঘোড়া নয়, রোলারে চড়ে বিয়েবাড়িতে বর!
নিজের বিয়ের দিন স্মরণীয় করে রাখতে গাড়ি, হাতি-ঘোড়া বা পালকি নয়, একেবারে রোড-রোলারে চড়ে বিয়ে করতে যান ভারতের কৃষ্ণনগরের যুবক অর্ক। আর এমন বিয়ের খবর ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রীতিমতো ফুল-মালা দিয়ে সুসজ্জিত রোড-রোলারে চড়েই বিয়ে করতে যান তিনি।   পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ওই যুবক বলেন, একজন বুলডোজারে চড়ে বিয়েবাড়িতে গিয়েছে শুনেছি। সেই ঘটনা থেকেই এমন ভাবনা।  এদিকে অর্কর হবু শ্বশুরবাড়িও কৃষ্ণনগরেই। পাত্রের এ সিদ্ধান্তের কথা আগে থেকেই জানতেন কনেপক্ষ। ফলে সেদিক থেকে কোনো আপত্তি উঠেনি বলেই জানান অর্ক।
নিজের বিয়ের দিন স্মরণীয় করে রাখতে গাড়ি, হাতি-ঘোড়া বা পালকি নয়, একেবারে রোড-রোলারে চড়ে বিয়ে করতে যান ভারতের কৃষ্ণনগরের যুবক অর্ক। আর এমন বিয়ের খবর ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রীতিমতো ফুল-মালা দিয়ে সুসজ্জিত রোড-রোলারে চড়েই বিয়ে করতে যান তিনি। পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ওই যুবক বলেন, একজন বুলডোজারে চড়ে বিয়েবাড়িতে গিয়েছে শুনেছি। সেই ঘটনা থেকেই এমন ভাবনা।
প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতেই কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে ফোনে কথা বলতে বলতেই আত্মহত্যা করলেন এক কলেজছাত্রী। পরে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। কলেজছাত্রী উপমা গিরি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের বাসিন্দা তিনি।কলকাতার একটি কলেজে বিএড পড়তেন তিনি। তবে গড়িয়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে একা থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ২৪ পরগনায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলা অবস্থায় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। প্রেমিককে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন ওই তরুণী।  ঘটনাটি বুঝতে পেরে এক বন্ধুকে খবর দেন উপমার প্রেমিক। সেই বন্ধু ফোনে ঘটনাটি নরেন্দ্রপুর থানায় জানান।  পুলিশ যখন গড়িয়ায় ওই তরুণীর ভাড়া বাড়িতে পৌঁছায়, তখন গভীর রাত। যথারীতি ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। বাধ্য হয়ে দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। পরে উপমা গিরির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।  পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কত্যর্বরত চিকিৎসত মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে ফোনে কথা বলতে বলতেই আত্মহত্যা করলেন এক কলেজছাত্রী। পরে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।
সাজার বিরুদ্ধে আপিল রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেফতার রয়টার্সের দুই সাংবাদিক তাদের রায়ের বিরুদ্ধে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছেন।  শুক্রবার তাদের আইনজীবীরা এ আপিল করেন।  রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির একটি নিম্ন আদালত রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়ে ওউকে (২৮) দোষী সাব্যস্ত করেন।  শাস্তি হিসেবে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। কিন্তু গত মাসে এক রায়ে তাদের আপিল খারিজ করে দেয়া হয়। হাইকোর্ট আপিল খারিজ করে দেয়ায় শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন তাদের আইনজীবীরা।  উল্লেখ্য, ওয়া লোন ও কিয়াও সোয়ে ওউ নামে এ দুই সাংবাদিককে গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ইয়াঙ্গুনের উপকণ্ঠে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাদের ১৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে তারা কিছু দলিল জোগাড় করেছিলেন। সে জন্য তাদের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে গ্রেফতার করা হয়। দুজনই মিয়ানমারের নাগরিক। দুই সাংবাদিক বলেছেন, তারা কোনো ভুল করেননি। রয়টার্স জানায়, তাদের দুই রিপোর্টারকে ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ডিনারের কথা বলে ডেকে নিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এর পর তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টয়ের আওতায় অভিযোগ করা হয়। ১৯২৩ সালে প্রণীত ওই আইনের আওতায় আটক ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেফতার রয়টার্সের দুই সাংবাদিক তাদের রায়ের বিরুদ্ধে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছেন।
ভেনিজুয়েলাকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো অবস্থায় ঠেলে দেয়া হচ্ছে: মাদুরো
অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে মার্কিন স্বীকৃতি দেয়ার সপ্তাহখানেক পর ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, তার দেশকে আরেকটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজের টুইটারে মাদুরো বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করতে আমি মার্কিন জনগণের সমর্থন চাচ্ছি। কারণ তার প্রশাসন আমাদের দেশটিকে দক্ষিণ আমেরিকায় আরেকটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিওতে মাদুরো বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে আসে, তবে তাদের ভিয়েতনামের চেয়েও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে, যা তাদের কল্পনাতীত। এদিকে হুয়ান গুইদোর বাড়িতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিশেষ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হানা দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।  গুইদোর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালেই পুলিশ এসে হাজির হয়। তবে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারেননি তিনি। ক্ষুদে ব্লগ টুইটারে তিনি লিখেছেন, এ মুহূর্তে আমার স্ত্রীর ফ্ল্যাটে স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্স উপস্থিত হয়েছে। আমার মেয়ের কিছু হলে মাদুরো দায়ী থাকবেন। বৃহস্পতিবার কারাকাসের সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের গুইদো বলেন, দেশের প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে উৎখাত করতে তিনি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করায় তাকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পুলিশি হানার ওই ঘটনা এরই লক্ষণ।
অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে মার্কিন স্বীকৃতি দেয়ার সপ্তাহখানেক পর ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, তার দেশকে আরেকটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের পক্ষে সাফাই গাওয়া পুলিশ সদস্য কারামুক্ত
রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে ফাঁদে ফেলতে কীভাবে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের হাতে গোপন নথি ধরিয়ে দিয়েছিল, আদালতে সেই তথ্য দিয়ে কারাগারে যাওয়া মিয়ানমারের পুলিশ ক্যাপ্টেন মো ইয়ান নাইং মুক্তি পেয়েছেন। পুলিশের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অবশেষে 9 মাস কারাভোগের পর শুক্রবার তিনি মুক্তি পান। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কেই সো ওকে (২৮) বিচারের মুখোমুখি করতে ব্যাপক বিস্তৃত সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল।  ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বরে তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কীভাবে ফাঁদ সাজিয়েছিল, ক্যাপ্টেন মো ইয়ান নাইং আদালতে সেই তথ্য দেন।  গত বছর সেপ্টেম্বরে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেb মিয়ানমারের একটি আদালত। যদিও বরাবরই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছেন তারা। বিচারের সময় আদালতকে তারা বলেছিলেন- ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুনের এক রেস্তোরাঁয় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে দুই পুলিশ সদস্য তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দেন এবং তার পর পরই সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ক্যাপ্টেন মো ইয়ান নাইং। তিনি আদালতে দুই সাংবাদিককে ধরতে পুলিশ ওই ঘটনা সাজিয়েছিল বলে সাক্ষ্য দেন। ইয়ান নাইংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অতীতে ওয়া লনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। কারাদণ্ড ছাড়াও রাজধানীর পুলিশ কোয়ার্টার থেকে ইয়ান নাইংয়ের পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে ইয়ান নাইং সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যখন গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করব, তখন যেসব আইন সংশোধন করতে হবে, তার মধ্যে অবশ্যই এই পুলিশ শৃঙ্খলা ভঙ্গ আইন একটি। বর্তমান যুগের সঙ্গে এই আইন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের অনেক বেশি ভুগতে হয়।
রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে ফাঁদে ফেলতে কীভাবে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের হাতে গোপন নথি ধরিয়ে দিয়েছিল, আদালতে সেই তথ্য দিয়ে কারাগারে যাওয়া মিয়ানমারের পুলিশ ক্যাপ্টেন মো ইয়ান নাইং মুক্তি পেয়েছেন। পুলিশের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
খাশোগি হত্যা: সব তথ্য হাতে পাননি জাতিসংঘ তদন্ত কর্মকর্তা
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের তদন্তকারী অ্যাজেন্স ক্লামারড বলেছেন, তিনি এ সংক্রান্ত যেসব তথ্য চেয়েছিলেন, তার সবটা এখনও হাতে পাননি। তবে একটি সফল তদন্ত পরিচালনায় সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদী। তুরস্কে সপ্তাহব্যাপী মিশনে থাকা জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত বৃহ্স্পতিবার বলেন, সরকারি মন্ত্রীদের সঙ্গে আঙ্কারা ও ইস্তানবুলে তিনি বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া তুরস্কের গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও সরকারি কৌঁসুলিদের সঙ্গেও বসেন তিনি। গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের কাগজপত্র আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তার নিখোঁজের খবর অস্বীকার ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেয়ার পর অবশেষে সৌদি শিকার করেছেন, নীতিহীন এক অভিযানে তিনি নিহত হয়েছেন। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, সৌদি আরবের কার্যত নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছিল। তবে রিয়াদ সবসময় বলে আসছে, এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সৌদি যুবরাজ আগে থেকে জানতেন না। জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এখানে আমাদের মধ্যে খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। তবে সব তথ্য হাতে না পাওয়ায় এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। এ সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে আমরা অনুরোধ করেছি। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন এবং এ সংক্রান্ত পুলিশি তদন্তের তথ্য আমাদের হস্তান্তর করবেন।
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘের তদন্তকারী অ্যাজেন্স ক্লামারড বলেছেন, তিনি এ সংক্রান্ত যেসব তথ্য চেয়েছিলেন, তার সবটা এখনও হাতে পাননি। তবে একটি সফল তদন্ত পরিচালনায় সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদী।
দীর্ঘ অচলাবস্থার পর লেবাননে নতুন সরকার
টানা আট মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর বৃহস্পতিবার নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে লেবানন। দেশটিতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক পতনের মধ্যে এ ঘোষণা এলো। কাজেই পশ্চিমা সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে এখন নতুন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধার ও কয়েক কোটি ডলার প্রতিশ্রুত ঋণ-সহায়তা ছাড়িয়ে আনার চ্যালেঞ্জ তার সামনে রয়েছে।  ৩০ সদস্যের মন্ত্রিসভার প্রধান হবেন সাদ হারিরি। রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভয়াবহ ঋণ থেকে দেশকে উদ্ধারে কোনো বিলম্ব না করে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক সংকট মোকাবেলা করছি। হারিরি বলেন, এটি সত্যিই কঠিন রাজনৈতিক সময়। বিশেষ করে নির্বাচনের পর আমরা পরিস্থিতিকে বদলে দেব এবং কাজ শুরু করব। সুশীল সমাজের আন্দোলন থেকে আসা সাবাহ পার্টির সদস্য ভিকি খাউরি বলেন, নতুন সরকারকে সবার আগে অর্থনীতির চাকা সচল করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার করতে হবে।
টানা আট মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর বৃহস্পতিবার নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে লেবানন। দেশটিতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক পতনের মধ্যে এ ঘোষণা এলো।
রেডিওতে কণ্ঠস্বর শুনে ২১ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেল ছেলে
অ্যামেচার রেডিও বা হ্যাম রেডিওর কল্যাণে ২১ বছর পর নিখোঁজ এক ব্যক্তিকে ফিরে পেল তার পরিবার। সরকারি খাতায় মৃতের তালিকায় উঠেছিল ওই ব্যক্তির নাম। বেশ কয়েক বছর ধরে বিধবার জীবনযাপন করছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। স্বামীর চাকরির পেনশনও পাচ্ছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সকালে এমন ঘটনাই ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ হাসপাতালে। ভারতের মহারাষ্ট্রের বন দফতরের রক্ষী ছিলেন রাজারাম বঙ্গিরওয়ার নামের ওই ব্যক্তি। ১৯৯৮ সালে তিনি অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের সবাই অফিস, রেলস্টেশন, হাসপাতালসহ অনেক জায়গায় খুঁজে শেষ পর্যন্ত মৃত ভেবে হাল ছেড়ে দেয় তারা। ২১ বছর পর হ্যাম রেডিওর সুবাদে রাজারাম বঙ্গিরওয়ারের সঙ্গে দেখা হলো ছোট ছেলে মুকেশের। বাবাকে পেয়ে আপ্লুত মুকেশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘বাবাকে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছি। যার ছবিতে মালা পরাতাম, আজ সে আমার সামনে!’ পশ্চিমবঙ্গ অ্যামেচার রেডিও অ্যাসোসিয়েশনের অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় একটি ব্যারিকেডের ধারে শীতে কাঁতরাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই আমরা। ওই বৃদ্ধের কথা বুঝতে না পারার কারণে হ্যাম রেডিওতে বৃদ্ধের গলার আওয়াজ ছড়িয়ে দেন তারা। সেই কণ্ঠস্বর শুনেই বৃদ্ধের ছেলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানান অম্বরীশ নাগ।
অ্যামেচার রেডিও বা হ্যাম রেডিওর কল্যাণে ২১ বছর পর নিখোঁজ এক ব্যক্তিকে ফিরে পেল তার পরিবার।
ফ্রান্সের যে গ্রামটিতে বসে বিপ্লব লালন করেন খোমেনি
চল্লিশ বছর আগে চলতি মাসে, ইসলামিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে একজন মানুষ ফ্রান্সের একটি নিভৃত গ্রামে নির্বাসিত জীবন শেষ করে ইরানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। প্যারিসের বাইরে একটি গ্রামে একটি সাধারণ ঘরে তিনি থাকতেন।  বাগানের ভেতর একটি আপেলগাছের নিচে পা আড়াআড়ি করে বসে তিনি দিন পার করে দিতেন। আর ভাবতেন একটি বিপ্লবের কথা। ষাটের দশকে ইরান থেকে পালিয়ে আসেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ আল খোমেনি। তিনি মানুষকে যা তালিম দিতেন, তাতে শাহ শাসক ধরপাকড় চালাতে পারে বলে আতঙ্ক ছিল। তাই দেশ ছাড়তে তাকে বাধ্য হতে হয়েছিল। এর পর কিছু দিন তুরস্কে থাকার পর তিনি চলে যান ইরাকে। কিন্তু ১৯৭৮ সালে সাদ্দাম হোসেন তাকে পবিত্র নাজাফ শহর থেকে তাড়িয়ে দেন।  পরবর্তী সময় প্যারিসের পশ্চিমে নোওপেলে-লি-চ্যাটুয়া নামের একটি ঘুমপাড়ানির গ্রামে তার শেষ আশ্রয় হয়। সে বছরের অক্টোবর থেকে ১৯৭৯ সালে তেহরানে ফেরার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে ছিলেন। এ গ্রামটি থেকেই শান্তভাবে ইরানের শাহ বিরোধী বিক্ষোভকে উদ্দীপিত করতেন খোমেনি। এখান থেকেই তিনি ইসলামী বিপ্লব লালন করে গেছেন। ৬১ বছর বয়সী চিত্রশিল্পী জন-ক্লঁ সিনটাস সে সময় আয়াতুল্লাহ যে সড়কে বসবাস করতেন, সেই বরাবরই একটি বাড়িতে থাকতেন।  তার এখনও স্পষ্ট মনে আছে- লম্বা দাঁড়িওয়ালা, পরনে ঢিলা জামা ও মাথায় কালো পাগড়ি এক শিয়া ধর্মীয় নেতা মাঝেমধ্যে রাস্তায় হাঁটাচলা করতেন। ফ্রান্সের পুলিশ যাকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দিয়ে রাখত। সিনটাস বলেন, নোওপেলে-লি-চ্যাটুয়াতে বসবাস করা লোকজনসহ আমরা নিজেরা বলাবলি করতাম, কেন তাকে এত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে? কেন শহরটাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হলো? কেবল এই এক ব্যক্তির জন্য এত এত পুলিশ ও হেলিকপ্টার? কেন এত আয়োজন তা তখন আমাদের বোধগম্য ছিল না। ‘যদিও আমরা জানতাম- তিনি ইরানের শাহ শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।’ সেই সময়ের তোলা রয়টার্সের ছবিতে দেখা যায়, খোমেনি আপেলগাছ তলায় একটি জাজিমে বসে আছেন। তার সামনে পারস্যের তৈরি জায়নামাজ। মনে হচ্ছিল, তিনি যেন গোপনে আলাপ করছেন। তার ডান হাতে কালো চশমা ধরা ছিল, হাতটি হালকা নড়ছিল। নিভৃত গ্রামটির আরেক বাসিন্দা মিশেল লেভারডেক বলেন, খোমেনি সম্পর্কে তখনকার নানা গল্প গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। যদিও গ্রামটিতে তার থাকার কেন নিদর্শন এখন আর নেই। তবে শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির পতনের ইতিহাসের ব্যাখ্যার একটি পর্যটন চিহ্ন সেখানে রয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আয়াতুল্লাহ ও তার সঙ্গীদের বিভিন্ন বাণী এখনও দেখা যায়। একটি সাদামাটা বাড়িতে অবস্থানের আগে তারা এসব বাড়িতে ছিলেন। সাধারণ বাড়িটিতেও কয়েকটি মহৎ বাণীও দেখা গেছে। বাড়িটিতে মক্কার দিকে মুখ করা বিশাল জানালার অংশে এই বাণী লেখা। মিশেল লেভারডেক নামের ওই নারী বলেন, নিজের থাকার জন্য একটি মাঝারি ছোট বাড়ি পছন্দ করলেন খোমেনি। যদি আমি ঠিক বলে থাকি, তা হলে সেটির পশ্চিম দিকে মুখ করা বিশাল একটি জানালা ছিল। কারণ পশ্চিমে মুখ ফিরিয়ে তিনি নামাজ আদায় করতেন। তখন খোমেনির খবর সংগ্রহের জন্য পল টেইলর নামে রয়টার্সের এক তরুণ সাংবাদিককে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ফ্রান্সে খোমেনির চার মাস নির্বাসিত থাকার সময়ে তার সাক্ষাৎকার নিতে গ্রামটিতে সময় কাটান তিনি। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নিজ দেশ তখন উত্তাল ও শাহ শাসকও পালাতে প্রস্তুত ছিল। টেইলর বলেন, পুরো সময়টায় খোমেনিকে খুবই শান্ত দেখা গেছে। তিনি কখনও নিজের আবেগ দেখাতেন না। তিনি খুবই শান্ত ছিলেন, মনে হতো তিনি অন্যগ্রহে চলে যেতেন। ১৯৭৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ইরান থেকে পালিয়ে যান রেজা শাহ পাহলোভি। এর সপ্তাহ দুয়েক পরে একটি চার্টার্ড এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইটে তেহরানের উদ্দেশে উড়াল দেন খোমেনি। এ সময় তার সঙ্গে একডজন সাংবাদিক ছিলেন। তখন তাকে স্বাগত জানাতে লাখ লাখ মানুষ ইরানের রাস্তায় নেমে আসেন। সেই স্মৃতিচারণ করে টেইলর বলেন, যখন তারা ফ্রান্স ছাড়েন, তারা জানতেন না, তাদের বিমানগুলো করে ভূপাতিত করা হবে কিনা কিংবা তাদের তেহরানের মাটিতে নামতে দেয়া হবে কিনা। দুই হাজার বছরের বেশি সময় ধরে শাসন করে আসা রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে ১৯৮৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে ইরানের দেখভাল করেন খোমেনি। তখন তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। নোওপেলে-লি-চ্যাটুয়াতে তার বসবাস করা বাড়িটি আগের মতোই সাদাসিধে আছে। সাদা বাড়িটির  দরজা সবুজ রঙ মাখা হয়েছে। একটি সাধারণ কাঠের দরজা দিয়ে ভেতরে যেতে হয়।
চল্লিশ বছর আগে চলতি মাসে, ইসলামিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে একজন মানুষ ফ্রান্সের একটি নিভৃত গ্রামে নির্বাসিত জীবন শেষ করে ইরানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। প্যারিসের বাইরে একটি গ্রামে একটি সাধারণ ঘরে তিনি থাকতেন।
খাবার নিয়ে ঝগড়ায় বিয়ের এক ঘণ্টা পরই বিচ্ছেদ
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে খাবার নিয়ে ঝগড়ায় বিয়ের এক ঘণ্টা পরই বিচ্ছেদ ঘটেছে স্বামী-স্ত্রীর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গুজরাট থেকে বিয়ে করতে গিয়েছিল বরপক্ষ।  বিয়ের পর দুপুরের খাবার নিয়ে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে ঝগড়া রূপ নেয় হাতাহাতিতে। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। এর পর গাঁটছড়া খুলে আলাদা করা হয় নবদম্পতিকে।  দুই পরিবার থেকেই আইনজীবী ডেকে বিয়ের এক  ঘণ্টার মধ্যেই আবার তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে খাবার নিয়ে ঝগড়ায় বিয়ের এক ঘণ্টা পরই বিচ্ছেদ ঘটেছে স্বামী-স্ত্রীর।
ভেনিজুয়েলা থেকে ২০ টন স্বর্ণ রাশিয়া পাচারের অভিযোগ!
ভেনিজুয়েলার ২০ টন স্বর্ণ রাশিয়া নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক সদস্য জোস গুয়েরা। তিনি জানান, তার কাছে তথ্য রয়েছে ২০ টন স্বর্ণ বিমানে নেয়া হয়েছে।  এটিকে ভুয়া সংবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, সাধারণ জনগণের কাছে এটি গুজব ছড়ানো হয়েছে।  খবর দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাফের। এছাড়া পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই গুজব প্রসার হয়েছিল গণমাধ্যমের কারণে। এতে দাবি করা হয়েছিল, রাশিয়ার নর্ডউইন্ড এয়ারলাইন্সের ৪০০ যাত্রী বহনে সক্ষম রহস্যজনক বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি মস্কো থেকে  উড্ডয়নের পর একটি কারাকাসের একটি বিমানবন্দরে যায়। ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন,  ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে তৃতীয় দেশ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
ভেনিজুয়েলার ২০ টন স্বর্ণ রাশিয়া নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক সদস্য জোস গুয়েরা।
সাকিব-মাশরাফিদের ম্যানেজার পাইলট!
বিপিএল শেষেই নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এ সফরে টাইগারদের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন খালেদ মাসুদ পাইলট! এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া না হলেও সাবেক অধিনায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।      পাইলটের মাশরাফি-সাকিবদের ম্যানেজার হওয়া নিয়ে গুঞ্জন ছিলই। অবশেষে হয়তো তাই সত্যি হতে চলেছে। কারণটাও চাউর হয়েছে।  জাতীয় দলের নিয়মিত ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের কোচের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকবেন। বিধায় তার পক্ষে নিউজিল্যান্ডে যাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে ম্যানেজার হিসেবে যেতে পারেন খালেদ মাসুদ। আরও গুঞ্জন ছিল, মোহামেডানের কোচ হচ্ছেন পাইলট। তবে শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। প্রিমিয়ার লিগের দলটির কোচ হয়েছেন সাবেক বাঁহাতি পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম। সুতরাং জাতীয় দলের ম্যানেজার হচ্ছেন সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান তা জোর দিয়েই বলা যায়।
বিপিএল শেষেই নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এ সফরে টাইগারদের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন খালেদ মাসুদ পাইলট! এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া না হলেও সাবেক অধিনায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভালোবাসা দিবসে দারাজে ৭০% ছাড়!
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম অনলাইন শপ দারাজ (Daraz.com.bd) বাংলাদেশ টানা চতুর্থবারের মতো আয়োজন করছে দারাজ ভ্যালেন্টাইনস ডে সেল ক্যাম্পেইন।  এই অনলাইন উৎসব চলবে ১ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, থাকবে সর্বোচ্চ ৭০% পর্যন্ত বিশাল মূল্যছাড়। ইভেন্টটিতে দারাজের সঙ্গে কো-স্পন্সর হিসেবে আছে বাংলালিংক, ভিট, সেট ওয়েট, শেভার শপ, উমিডিজি।   এছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে র‍্যাফেল ড্র। বিজয়ীর জন্য থাকছে হেলিকপ্টার রাইড ও হোটেল ওয়েস্টিনে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের সুবর্ণ সুযোগ।  ভালোবাসা দিবস দিনটিকে উৎসবের রঙে রাঙাতে গ্রাহকদের জন্য আরও থাকছে আই লাভ ভাউচার, ক্রেজি ভাউচার, মিস্ট্রি বক্স, দৈনিক ফ্ল্যাশ সেলসহ স্পেশাল ভ্যালেন্টাইন গিফট কালেকশন ও আকর্ষণীয় সব ডিল।  ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে দারাজ (daraz.com.bd) অফার করছে পেমেন্ট পার্টনারদের মাধ্যমে ব্যাংক ডিসকাউন্ট এবং বিকাশ ক্যাশব্যাক অফার। লঙ্কা বাংলা ভিসা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে ১৪% পর্যন্ত মূল্যছাড় (ক্যাপ. ২০০০ টাকা) এবং সিটি ব্যাংক (অ্যামেক্স কার্ড) ও সাউথইস্ট ব্যাংকের ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে লেনেদেনে পাওয়া যাবে ১০% পর্যন্ত মূল্যছাড় (ক্যাপ. ২০০০ টাকা)।  এছাড়াও বিকাশ পেমেন্টে থাকছে সর্বোচ্চ ২০% (প্রতি কাস্টমার সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি লেনদেন ৩০০ টাকা পর্যন্ত) ক্যাশব্যাক সুবিধা।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম অনলাইন শপ দারাজ (Daraz.com.bd) বাংলাদেশ টানা চতুর্থবারের মতো আয়োজন করছে দারাজ ভ্যালেন্টাইনস ডে সেল ক্যাম্পেইন। এই অনলাইন উৎসব চলবে ১ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, থাকবে সর্বোচ্চ ৭০% পর্যন্ত বিশাল মূল্যছাড়।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় নিউইয়র্কে মামলা দায়ের
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, মামলায় ফিলিপাইনের ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থের সুবিধাভোগী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া অর্থসহ মামলার খরচ দাবি করা হয়েছে।    এর আগে বৃহস্পতিবার আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান যুগান্তরকে বলেন, রিজার্ভ চুরির বিষয়ে নিউইয়র্কের সময় ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আর বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাতের প্রথম প্রহরে মামলাটি করা হবে। গত রোববার রাতে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মামলা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কে যান।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি ছাড়াও চার সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপদেষ্টা দেবপ্রসাদ দেবনাথ, একই ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রব এবং অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন রয়েছেন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমসের নিউইয়র্ক শাখার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ওই চুক্তিতে মামলার ব্যাপারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেড বাংলাদেশ ব্যাংককে সব ধরনের সহায়তা দেবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক মামলা পরিচালনার জন্য নিউইয়র্কে দুটি ল’ ফার্ম নিয়োগ করেছে। এর আগে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির সাংবাদিকদের বলেন, সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমাদের একটি প্রতিনিধিদল এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছে। গভর্নর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনার পাশাপাশি দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করাই এ মামলার উদ্দেশ্য। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) থাকা বাংলাদেশের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে এ অর্থ ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার আটকানো যায় এবং তা ফেরতও পাওয়া যায়। তবে ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। পরে ওই অর্থের দেড় কোটি ডলার জুয়ার আসর থেকে ফিলিপিন্স সরকার তুলে ফেরত দিলেও বাকি অর্থ পাওয়া যায়নি। গভর্নর বলেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনা থেকে যারা লাভবান হয়েছে এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের এ মামলায় আসামি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির এ ঘটনা ফিলিপিন্সেও সাড়া ফেলেছিল। তারাও ঘটনার তদন্ত করে একটি মামলা করে। যে ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ জুয়ার টেবিলে গিয়েছিল, সেই আরসিবিসির কর্মকর্তা মায়া সান্তোস দেগিতোকে সম্প্রতি দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ওই ঘটনায় বাংলাদেশেও একটি মামলা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ গত তিন বছরেও আদালতে প্রতিবেদন দিতে পারেনি।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংসদে এসে সরকারকে চাপে রাখুন: ঐক্যফ্রন্টকে নাসিম
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মাঠে উত্তাপ সৃষ্টি করে লাভ হবে না। সংসদে এসে ভূমিকা রেখে সরকারকে চাপে রাখুন, ভুল-ক্রটি ধরিয়ে দিন।  শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত এমএ আজিজের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।  মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, সংসদে না আসলে বড় সুবর্ণ সুযোগ হারাবেন। আর মাঠে রাজনৈতিক উত্তাপ সৃষ্টির সুযোগও নেই। হরতাল-অবরোধ এখন ভোঁতা হয়ে গেছে। দেশের মানুষ এখন উন্নয়নে বিশ্বাসী। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলবে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সামরিক শাসনের সময়েও আওয়ামী লীগ সংসদ ছাড়েনি। পচাত্তরের বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়ার আমলেও আমরা সংসদে ভূমিকা রেখেছিলাম। ওই সময় সংসদকে শুধু প্রাণবন্ত নয়, বক্তব্য দিয়ে জিয়াকে কাবু করে দিতাম।  তিনি বলেন, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের এখন বড় সুযোগ সংসদে গিয়ে কথা বলা। প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে না গেলেও মান-অভিমান ভুলে বিএনপি শেষ পর্যন্ত সংসদে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাবেক এই মন্ত্রী। আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পৃথিবীর কোথাও বাধাহীন অবস্থায় রাজনীতি করতে দেয়া হয় না। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ও ওয়ান ইলেভেন সরকারের অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির উচিত আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নেয়া।  তিনি বলেন, ৩০ ডিম্বেরের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। সারাবিশ্ব এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি। আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, কৃষক লীগের সাবেক নেতা এমএ করিম প্রমুখ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মাঠে উত্তাপ সৃষ্টি করে লাভ হবে না। সংসদে এসে ভূমিকা রেখে সরকারকে চাপে রাখুন, ভুল-ক্রটি ধরিয়ে দিন।
গণভবনে পাঠানো ঐক্যফ্রন্টের চিঠিতে যা লেখা আছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্র অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ যাবেন না। এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চিঠি পৌঁছে দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মো. খোরশেদ আলম ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে এ চিঠি গ্রহণ করেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী স্বাক্ষরিত ঐক্যফ্রন্টের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণভবনে ২ ফেব্রুয়ারি শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা চক্রের আমন্ত্রণের জন্য আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) ধন্যবাদ। আজ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আমন্ত্রণ অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে আলোচিত হয়েছে। কমিটি এই চা চক্রে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কোনোভাবেই নৈতিক নয়। সেইদিন দেশের মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচন করার ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হাজার হাজার নেতাকর্মী এখনও জেলে আছে। নতুন নতুন মামলায় আরও অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহুত চা-চক্রে অংশগ্রহণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’ প্রসঙ্গত, আগামীকাল ২ ফেব্রুয়ারি একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যে ৭৬ দলের সঙ্গে সরকার সংলাপ করেছে, তাদের আবারও গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে বৃহস্পতিবার চা-চক্রকে ‘প্রহসন’বলে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে গণশুনানি হবে। তিনি বলেন, ভোট ডাকাতির পর চা-চক্র প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। তাই সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্র অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ যাবেন না। এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চিঠি পৌঁছে দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।
ডাকসু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে দাবানল জ্বলবে: চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর বহুল প্রতিক্ষিত ডাকসু নির্বাচন  হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত-অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। তিনি বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী কায়দায় রাতের অন্ধকারে ক্ষমতাসীনরা যেভাবে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে তা আধুনিক সমাজে অকল্পনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। এমন একটা তামাশার নির্বাচনের বিজয় উৎসব ও পুনরায় উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা জনগণের সঙ্গে একধরনের প্রহসন বলেও মন্তব্য করেন চরমোনাই পীর। ধর্ষণ এখন রাজনৈতিক জীঘাংসার হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শুক্রবার রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাইনুল আহসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ও মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, বরকত উল্লাহ লতীফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ। সম্মেলনে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ১১ দফা সম্মেলন ঘোষণা উপস্থাপন করেন ইশা ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম। সম্মেলন শেষে শেখ ফজলুল করীম মারুফকে সভাপতি, এম. হাছিবুল ইসলামকে সহসভাপতি, মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহকে সেক্রেটারি জেনারেল করে ২০১৯ সালের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর বহুল প্রতিক্ষিত ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত-অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের নিরঙ্কুশ জয়, খোকনের অভিনন্দন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের নিরঙ্কুশ বিজয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিনন্দন জানান। ব্যারিস্টার খোকনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ বিবৃতিটি প্রেরণ করেন। বিবৃতিতে তিনি নির্বাচিত নেতারা যেন আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করতে পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  এছাড়া বিবৃতিতে ব্যারিস্টার খোকন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থী প্যানেলের বিজয়ীদেরও অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যে প্যানেল থেকে সম্পাদকসহ ৮টি পদে এবং আওয়ামী লীগ থেকে সভাপতিসহ ৩টি পদে নির্বাচিত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের নিরঙ্কুশ বিজয়ে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সংসদে না এলে বড় ভুল করবে বিএনপি: কাদের
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ না নিলে বড় ভুল করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।   তিনি বলেছেন, বিএনপি যদি সংসদ বর্জন করে, তা হলে তারা আরও বড় ভুল করবে। দেশের মতো বিদেশের বন্ধুদের থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে দলটি।   শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।   বিএনপির সংসদে আসার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি অগণতান্ত্রিক মানসিকতা দেখায়, তা হলে তা গণতন্ত্র ও তাদের জন্য অস্তিত্ব সংকটের কারণ হবে। তাদের ৮ সংসদ সদস্য যদি সংসদে জোরালো ভাষায় যুক্তিতর্ক দিয়ে কথা বলেন, তা হলে সংসদের ভেতরেও তারা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন।   প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে ঐক্যফ্রন্টের না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের নেতিবাচক রাজনীতির বহির্প্রকাশ বলে মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের।   তিনি বলেন, আন্তরিকতা নিয়ে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে দলগুলোকে চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে না যাওয়া নেতিবাচক রাজনীতির বহির্প্রকাশ।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি অনুরোধ তারা যেন বাধা তৈরি না করে ভোটে অংশ নেয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ না নিলে বড় ভুল করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ড. কামাল যাই বলুন আমি সংসদে যাব: সুলতান মনসুর
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি শপথ নেবে না। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের কথা সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।   তবে ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শপথ নেবেন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা গণফোরাম নেতা সুলতান মনসুর। তিনি জানিয়েছেন- ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন না চাইলেও তিনি শপথ নেবেন, সংসদে যোগ দেবেন।   যুক্তি হিসেবে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন প্রবীণ নেতা ও সংবিধানপ্রণেতা। তিনি তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের বর্ধিতসভায় ড. কামাল সংসদে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। এখন তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেও নিজের নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে সংসদে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।   সুস্থ হওয়ার পর শপথ নেবেন জানিয়ে সুলতান মনসুর বলেন, এখন আমি অসুস্থ। একটু সুস্থ হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শপথ নেব।   ঐক্যফ্রন্টের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে না যাওয়ার বিষয়ে সুলতান মনসুর বলেন, অসুস্থ থাকায় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে যেতে পারিনি। তাই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানি না। তবে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে নিজের নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে। তারা শতপ্রতিকূলতার মধ্যেও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। জনগণ চান দায়িত্ব পালনে সংসদে যাই। আর তার দায়িত্বও হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা, তাদের পক্ষে ভূমিকা রাখা এবং তার রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ও আদর্শকে যথাযথ কাজে লাগানো। আর এসব বাস্তবায়নের জন্য একজন এমপি হিসেবে আমাকে শপথ নিতে হবে এবং জাতীয় সংসদে যেতে হবে।   ড. কামাল হোসেন সংবাদমাধ্যমে যাই বলুক না কেন, তার অবস্থান সংসদে যাওয়ার পক্ষেই থাকবে বলেও তিনি জানান সুলতান মনসুর।   বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ড. কামাল জানান, ঐক্যফ্রন্টের কেউ শপথ নেবে না।   এর আগেও গণফোরামের দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেবেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তো আগেই স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে যে, তারা (গণফোরামের দুই সংসদ সদস্য) শপথগ্রহণ করবেন না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি শপথ নেবে না। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের কথা সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাজপথেই খালেদা জিয়ার মুক্তি: খন্দকার মাহবুব
আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় রাজপথ উত্তপ্ত করা। যতদিন পর্যন্ত রাজপথ উত্তপ্ত না হবে, ততদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় জেল থেকে বের করা যাবে না। এটি আমার দৃঢ় বিশ্বাস। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আয়োজনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদসভায় খন্দকার মাহবুব এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে। কারণ বর্তমান সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় বের করতে পারব বলে আমি আগেও বিশ্বাস করতাম না, এখনও বিশ্বাস করছি না। ‘তাই আজকে সময় এসেছে, জাতি উপলব্ধি করেছে- খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আমরা নির্বাচন করেছি, সে নির্বাচন করা কতটা সঠিক হয়েছে আমাদের নেতারা একদিন সে জবাব দেবেন এবং ইতিহাসও সে কথা বলবে।’ খন্দকার মাহবুব বলেন, এখনও বিশ্বাস করি- খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে তার মুক্তির ব্যবস্থা না করে আমরা নির্বাচনে গেছি গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর ভরসা করে। এটি কতটা সঠিক ছিল সেটি হয়তো ইতিহাস একদিন বিচার করবে। বিএনপির এ নেতা দাবি করেন, কোনো রাজনৈতিক মামলার কারণে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। তাই আইনের প্রক্রিয়া যতই আমরা বলি না কেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া তাকে মুক্ত করা যাবে না। দল ও জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ করব- আপনারা একটি মাত্র ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করুন, সেটি হলো- খালেদা জিয়ার মুক্তি।
আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্র অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ যাবেন না। এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চিঠি পৌঁছে দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।  শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মো. খোরশেদ আলম ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে এ চিঠি গ্রহণ করেন।   প্রসঙ্গত, আগামীকাল ২ ফেব্রুয়ারি একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে যে ৭৬ দলের সঙ্গে সরকার সংলাপ করেছে, তাদের আবারও গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে বৃহস্পতিবার চা-চক্রকে ‘প্রহসন’বলে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে গণশুনানি হবে।  ভোট ডাকাতির পর চা-চক্র প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। তাই সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্র অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেউ যাবেন না। এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চিঠি পৌঁছে দিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল।
চা-চক্রে ঐক্যফ্রন্টের না যাওয়া নেতিবাচক রাজনীতির বহির্প্রকাশ: কাদের
প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে ঐক্যফ্রন্টের না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের নেতিবাচক রাজনীতির বহির্প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।   শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।   ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তরিকতা নিয়ে দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে দলগুলোকে চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে না যাওয়া নেতিবাচক রাজনীতির বহির্প্রকাশ।     শপথ না নিলে ঐক্যফ্রন্ট ভুল করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি যদি সংসদ বর্জন করে, তা হলে তারা আরও বড় ভুল করবে। দেশের মতো বিদেশের বন্ধুদের থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে দলটি।     সংসদে আসার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি অগণতান্ত্রিক মানসিকতা দেখায়, তা হলে তা গণতন্ত্র ও তাদের জন্য অস্তিত্ব সংকটের কারণ হবে। তাদের ৮  সংসদ সদস্য যদি সংসদে জোরালো ভাষায় যুক্তিতর্ক দিয়ে কথা বলেন, তা হলে সংসদের ভেতরেও তারা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি অনুরোধ তারা যেন বাধা তৈরি না করে ভোটে অংশ নেয়।
প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্রে ঐক্যফ্রন্টের না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের নেতিবাচক রাজনীতির বহির্প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দাগনভূঞায় মক্কা শরীফের ইমামের জুমার ইমামতিতে লক্ষাধিক মুসল্লি
ফেনীর দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনে জুমার নামাজে খুতবা দিয়ে ইমামতি করেন পবিত্র মক্কা শরীফের মসজিদ জামেআশ শোহাদার ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মুহাম্মদ বিন হাসসান আশশারআবি। শুক্রবার জুমার নামাজে প্রায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বিদেশী অতিথি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবতরণ করেন। পরে তিনি উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।  ফেনী দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূরুল্লাহ মুছাপুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক আহনাফ সেন্টার সৌদি আরবের চেয়ারম্যান শায়েখ মিযানুর রহমান হানাফী, দারুল উলুম ওলামা বাজার মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা নুরুল ইসলাম আদিব, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ নেছারী, দাগনভূঞা আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইউসুফ কাসেমী। এনটিভি লন্ডনের উপস্থাপক ও রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সালাহ উদ্দিন জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় মহাসম্মেলনে আলোচক ছিলেন হাফেজ মাওলানা ক্বারী সাইদুল ইসলাম আসাদ, কলরবের প্রধান পরিচালক আবু সুফিয়ান। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। জুমার খুতবায় পবিত্র মক্কা শরীফের মসজিদ জামে আশ শোহাদার ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মুহাম্মদ বিন হাসসান আশ্শারআবি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া করেন। অনুষ্ঠানের একটি আকর্ষণ ছিলো আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজগণের সুললিত কণ্ঠের ক্বেরাত তেলাওয়াত। এছাড়া ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ফেনীর দাগনভূঞায় আন্তর্জাতিক ইসলামীমহাসম্মেলনে জুমার নামাজে খুতবা দিয়ে ইমামতি করেন পবিত্র মক্কা শরীফের মসজিদ জামেআশ শোহাদার ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মুহাম্মদ বিন হাসসান আশশারআবি।
মসজিদেও পুলিশ সেবা সপ্তাহ
রংপুরের পীরগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদে পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। থানার পক্ষ থেকে জুমার নামাজের আগে পুলিশের এসআই মুসল্লিদের উদ্দেশে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। শুক্রবার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ২০টি মসজিদে ওই বক্তব্য দেয়া হয়। সূত্র জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি রংপুর পুলিশ রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য ‘পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯’ পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে উদ্বোধন করেন। চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেতন করতে বিভিন্ন কার্যক্রম করা হয়। ওই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার ইউনিয়নপর্যায়ে মসজিদে ইমামের বাংলা খুতবার পর এসআইরা মুসল্লিদের উদ্দেশে বাল্যবিয়ে, যৌতুক, নারী নির্যাতন, মাদক ও জঙ্গিসহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের কুফল তুলে ধরেন। পীরগঞ্জ থানার এসআই মাইদুল ইসলাম বলেন, মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শুক্রবার পত্নীচড়া জামে মসজিদে মুসল্লিদের মাঝে বিভিন্ন অপরাধের কুফল সম্পর্কে বক্তব্য দিয়ে তাদের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা অফিসাররা (এসআই এবং এএসআই) পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে শুক্রবার মসজিদে বাংলা খুতবার পর বক্তব্য দিয়েছি।
রংপুরের পীরগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদে পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। থানার পক্ষ থেকে জুমার নামাজের আগে পুলিশের এসআই মুসল্লিদের উদ্দেশে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
বিয়ের দাওয়াত না পাওয়ায় পরিবারকে একঘরে, মাতব্বর জেলহাজতে
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বিয়ের দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সমাজপতিদের রোষানলে পড়ে তিন মাস একঘরে থাকার পর অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাজে ফিরে এলো একটি পরিবার। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পর একঘরে পরিবারটির একাকিত্ব বসবাসের অবসান ঘটে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ঘিলাছাড়া ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুস সালামের আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় গত অক্টোবরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের আর্থিক সহায়তায় শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। আব্দুস সালামের মেয়ের বিয়ের খবর গ্রামের মাতব্বরদের কানে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মাতব্বরা। মেয়ের বিয়ের দাওয়াত না দেয়ায় কোরবানপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আখলাছ মিয়া ও সেক্রেটারি লকুছ মিয়া অনুসারীদের নিয়ে আব্দুস সালামের পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেন। এতে গ্রামে একঘরে হয়ে পড়ে আব্দুস সালামের পরিবার। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করলে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা হক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে কোরবানপুর মসজিদ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। একঘরে করার অপরাধে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি লকুছ মিয়াকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠান। ঘটনার সত্যতা যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন ইউএনও আয়েশা হক।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে বিয়ের দাওয়াত না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ সমাজপতিদের রোষানলে পড়ে তিন মাস একঘরে থাকার পর অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাজে ফিরে এলো একটি পরিবার।
পীরগঞ্জে বাবার পর ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা!
পীরগঞ্জে বাবার পর এবার ছেলেকে ধাওয়া করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মদনখালী আকন্দপাড়ায় মহাজুর রহমানকে (৩২) ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে চাচাত ছোট ভাই নুর আলম (২৫)। প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের আকন্দপাড়ার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে প্রায় ১৫ বছর আগে তার আপন ছোট ভাই মুনছুর আলীর বিরোধ শুরু হয়। এরই জের ধরে প্রায় ১০ বছর আগে মুনছুর আলী বড় ভাই মোস্তাফিজুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ আরও বাড়ে। সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় মদনখালী তিনমাথার মোড়ে ছুরি নিয়ে মুনছুরের ছেলে নুর আলম তার চাচাত ভাই মোস্তাফিজুরের ছেলে মহাজুরের জন্য অপেক্ষা করছিল। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে মহাজুর আসামাত্রই তাকে নুর আলম ধাওয়া করে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে ছুরি দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার পর সে পালিয়ে যায়। ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান শামছুল আলম জানান, বাবার পর ছেলেকে হত্যার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।
পীরগঞ্জে বাবার পর এবার ছেলেকে ধাওয়া করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মদনখালী আকন্দপাড়ায় মহাজুর রহমানকে (৩২) ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে চাচাত ছোট ভাই নুর আলম (২৫)।
আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ, শেষ স্টাটাসে ডা. আকাশ
চট্টগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ মৃত্যুর আগে আত্মহত্যার জন্য তার স্ত্রী তানজিলা হক মিতুকে দায়ী করেছেন।  ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমি বারবার বলেছি আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট কর না, বিশ্বাস ভাঙ্গিওনা, মিথ্যা বল না। আমার ভালোবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিল। আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিং এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম। আর আমি চির শান্তির পথ বেছে নিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ।’  সর্বশেষ স্ট্যাটাসে আকাশ লেখেন- ‘ভালো থেক, আমার ভালবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে’।  এছাড়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে আকাশ বিয়ের আগে ও পরে একাধিক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রী মিতুর অনৈতিক সম্পর্ক থাকার দাবি করেন। তিনি ফেসবুকে স্ত্রীর কয়েকটি আপত্তিকর ছবিও পোস্ট করেন।  আকাশের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।  এরপর মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে আকাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে পুলিশ।  শুক্রবার বিকালে মিতুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছেন আত্মহত্যাকারী চিকিৎসকের মা জমিরা খানম।  মামলায় মিতু, তার বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা এবং আমেরিকা প্রবাসী এক বোন ও মিতুর দুই বয়ফ্রেন্ডকে আসামি করা হয়েছে।  নগর পুলিশের উত্তর জোনের এডিসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডা. আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব বিষয় যাচাই করা হচ্ছে। মিতুকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বামীর অভিযোগের কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন, আর কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।’  আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বেদনবিদ (অ্যানেসথেসিয়া) বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। থাকতেন নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায়।
চট্টগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ মৃত্যুর আগে আত্মহত্যার জন্য তার স্ত্রী তানজিলা হক মিতুকে দায়ী করেছেন।
নওগাঁয় নিপাহ ভাইরাসে গৃহবধূর মৃত্যু
নওগাঁর ধামইরহাটে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (৩০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে উপজেলা সদরের ওষুধ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা খেজুরের রস খেয়েছিলেন। এর কয়েকদিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। আয়েশা সিদ্দিকার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম আসছেন। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারবেন এলাকায় নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা। আয়েশা সিদ্দিকার ভাই সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নাকি আগেই বলেছিলেন- নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীকেই বাঁচানো সম্ভব হয় না।
নওগাঁর ধামইরহাটে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (৩০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী আটক
ভারতে সিরাজুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। নওগাঁর পোরশা উপজেলার নীতপুর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২৩২নং ১/এস পিলার থেকে শুক্রবার ভোররাতে তাকে আটক করা হয়। সিরাজুল ইসলাম উপজেলার লাকাই বাড়ি ইউনিয়নের কাটা পুকুর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন ভারত থেকে গরু আনতে যান। শুক্রবার ভোরে গরু নিয়ে ফিরে আসার সময় ভারতের টিকাপাড়া ক্যাম্পের-৬০ বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। পরে তার সঙ্গীরা ফিরে আসলেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২৩২নং ১/এস পিলারের ভারতের ২০০ গজ অভ্যন্তরে দাল্লা নামক স্থান থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ। পোরশা উপজেলার নিতপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার হুমায়ুন কবির বলেন, ভোরে ওই সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন সিরাজুল। এরপর তাকে হবিপুর থানায় হস্তান্তর করেছে বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
ভারতে সিরাজুল ইসলাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে আটক করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
‘আকাশের সঙ্গে সংসার করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না মিতুর’
চট্টগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের সঙ্গে সংসার করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর। পরিবারের চাপ আর স্বামীর প্রচণ্ড ভালোবাসায় অনেকটা করুণা করে স্বামীকে ডিভোর্স দেননি মিতু।  গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য জানান মিতু। ঘটনার পর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান মিতু।  বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।  এরপর মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে আকাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে পুলিশ।  শুক্রবার বিকালে মিতুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছেন আত্মহত্যাকারী চিকিৎসকের মা জমিরা খানম।  মামলায় মিতু, তার বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা এবং আমেরিকা প্রবাসী এক বোন ও মিতুর দুই বয়ফ্রেন্ডকে আসামি করা হয়েছে।  সাত বছরের প্রেমের সূত্র ধরে তিন বছর আগে ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে মিতুর সঙ্গে আকাশের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিতু বেশি সময় কাটিয়েছেন মা-বাবার সঙ্গে আমেরিকায়। মাঝেমধ্যে মিতু স্বামীর কাছে আসতেন। দেশে আসার পরও মিতু স্বামীর বাসায় নয়, বেশির ভাগ সময় থাকতেন তার বাবার চান্দগাঁও এলাকার বাসায়। মিতুও পেশায় একজন ডাক্তার। ২০১৪ সালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।  ডা. আকাশের এক আত্মীয় যুগান্তরকে বলেন, ‘বিয়ের পর মিতুকে নিয়ে সুখে ছিল না আকাশ। বিয়ের আগে মিতু দীর্ঘ সময় মা-বাবার সঙ্গে আমেরিকায় ছিল। সে ওই দেশের কালচার মেনে চলার চেষ্টা করত। বিয়ের পর একাধিক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা পছন্দ ছিল না আকাশের। তাদের বিয়ের কাবিননামা ছিল ৩৫ লাখ টাকা। মিতুকে ডিভোর্স দিলে আইন অনুযায়ী দিতে হতো কাবিনের সব টাকা। মিতুর বেপরোয়া স্বভাব চরিত্র এবং চালচলন পছন্দ না হলেও আকাশ বাধ্য হয়ে মুখ বুঝে মেনে নিয়েছিল।’  ডা. আকাশের ছোট ভাই নেওয়াজ মোরশেদ যুগান্তরকে বলেন, ‘গত ১৪ জানুয়ারি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে মিতু। ঘটনার দিন মিতু আকাশের সঙ্গে বাসায় ছিল। মিতুর পরকীয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আকাশের সঙ্গে বুধবার রাতে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মিতু রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজ শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করে আকাশ। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে মিতুসহ ৬ জনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’  নগর পুলিশের উত্তর জোনের এডিসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডা. আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব বিষয় যাচাই করা হচ্ছে। মিতুকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বামীর অভিযোগের কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন, আর কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।’  এদিকে মৃত্যুর আগে আত্মহত্যার জন্য আকাশ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্ত্রী তানজিলা হক মিতুকে দায়ী করেছেন।  স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমি বারবার বলেছি আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট কর না, বিশ্বাস ভাঙ্গিওনা, মিথ্যা বল না। আমার ভালোবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিল। আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিং এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম। আর আমি চির শান্তির পথ বেছে নিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ।’  সর্বশেষ স্ট্যাটাসে আকাশ লেখেন- ‘ভালো থেক, আমার ভালবাসা তোমার প্রেমিকদের নিয়ে’। এছাড়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে আকাশ বিয়ের আগে ও পরে একাধিক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রী মিতুর অনৈতিক সম্পর্ক থাকার দাবি করেন। তিনি ফেসবুকে স্ত্রীর কয়েকটি আপত্তিকর ছবিও পোস্ট করেন। আকাশের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।  আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বেদনবিদ (অ্যানেসথেসিয়া) বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। থাকতেন নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায়।
চট্টগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের সঙ্গে সংসার করার কোনো ইচ্ছাই ছিল না স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর। পরিবারের চাপ আর স্বামীর প্রচণ্ড ভালোবাসায় অনেকটা করুণা করে স্বামীকে ডিভোর্স দেননি মিতু।
চিকিৎসকের আত্মহত্যা: ছয়জনের বিরুদ্ধে প্ররোচনা মামলা
চট্টগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে তার স্ত্রী মিতুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছেন আত্মহত্যাকারী চিকিৎসকের মা জমিরা খানম।  মামলায় মিতু, তার বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা এবং আমেরিকা প্রবাসী এক বোন ও মিতুর দুই বয়ফ্রেন্ডকে আসামি করা হয়েছে।  মামলার বিষয়ে ডা. আকাশের ছোট ভাই নেওয়াজ মোরশেদ যুগান্তরকে বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে মিতু। ঘটনার দিন মিতু আকাশের সঙ্গে বাসায় ছিল।  তিনি বলেন, মিতুর পরকীয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আকাশের সঙ্গে বুধবার রাতে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মিতু রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।  নেওয়াজ মোরশেদ আরও জানান, এরপর ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজ শরীরে ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করে আকাশ। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে মিতুসহ ৬ জনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।  এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।  এরপর মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে আকাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করে পুলিশ।
চট্টগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
পাবনায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে হেলপার নিহত
পাবনার সাঁথিয়ায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে রফিক নামে ট্রাকের হেলপার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।  শুক্রবার পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের সাঁথিয়ার ছোন্দহ নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সরকার ট্রাভেলস ও বিপরীত দিক থেকে একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।  এতে দুটি গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ট্রাকটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই রফিক নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  সাঁথিয়ার মাধপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আবদুল খালেক জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বেড়া ও শাহজাদপুরের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হাতাহতদের উদ্ধার করে।
পাবনার সাঁথিয়ায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে রফিক নামে ট্রাকের হেলপার নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
নাটোরে ছেলের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন মা খুন
নাটোরের সিংড়ায় জরিনা বেওয়া (৬৫) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জিয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।  শুক্রবার উপজেলার কলম ইউনিয়নের পুণ্ডুরিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিয়ারুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।  পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার সকালে পুণ্ডুরি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জরিনা বেগমের মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে।  মৃতদেহের কপালে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জিয়ারুল ইসলামকে আটক করা হয়। স্থানীয় কলম ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুনু বলেন, মা ও ছেলে উভয়ই মানসিক ভারসাম্যহীন। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেই তার মাকে সিমেটের খুঁটি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে। সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
নাটোরের সিংড়ায় জরিনা বেওয়া (৬৫) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জিয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
আত্মহত্যার আগে মিতুর সঙ্গে হাতাহাতি হয় ডা. আকাশের
আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে স্ত্রীর সঙ্গে হাতাহাতি হয় ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের। তানজিলা হক মিতুকে গ্রেফতারের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।   একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর দিনের পর দিন পরকীয়া কুরে খাচ্ছিল ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে। যন্ত্রণা এতটা প্রকট হয়ে উঠেছিল যে, শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী এ চিকিৎসক।   নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসা থেকে সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ডা. আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগে চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে।   এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার হন তার স্ত্রী তানজিলা হক মিতু।   মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে ডা. আকাশ নিজের ফেসবুকে স্ত্রীর উদ্দেশে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটিতে স্ত্রীর প্রতি তার অভিমান ও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।   ডা. আকাশ স্ট্যাটাসে স্ত্রীর উদ্দেশে লেখেন- ‘ভালো থেকো, আমার ভালোবাসা তোমার প্রেমিকাদের (প্রেমিকদের) নিয়ে।’   ডা. আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরীর নন্দনকানন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।   চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বাশার যুগান্তরকে বলেন- প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর সঙ্গে রাতে ঝগড়া করেন আকাশ। ভোর ৪টার দিকে তার স্ত্রী রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এর পর আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে একপর্যায়ে নিজের শরীরে ইনজেকশন পুশ করে বিষপ্রয়োগ করেন।   আকাশের স্ত্রী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান শুক্রবার জানান, আত্মহত্যার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই দম্পতির মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু কিছু কিছু বিষয় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। আবার কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।   আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক’ ও ‘প্রতারণার’ অভিযোগ করে যান। এর ‘প্রমাণ’ হিসেবে মিতুর সঙ্গে তার ‘বন্ধুদের’ বেশ কিছু ছবিও তিনি ফেসবুকে তুলে দিয়ে যান।   অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বছর তিনেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন আকাশ ও মিতু। বিয়ের পর পরই মিতু যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তখন থেকেই বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল।   তিনি জানান, গত ১৩ জানুয়ারি মিতু দেশে  আসার পর তা আরও বেড়ে যায়। বুধবার রাতে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হাতাহাতিও হয়।   সেদিন রাতেই মিতুর বাবা এসে আকাশদের বাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে যান। ভোরের দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন আকাশ।   এ নিয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান জানান, এ নিয়ে কোনো পরিবারই এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। আকাশের ফেসবুক পোস্ট আর তার পরিবারের মৌখিক অভিযোগের যাচাই করার জন্য মিতুকে আটক করা হয়েছে।   আকাশ তার পোস্টে মিতুর যেসব ‘বন্ধুর’ নাম বলে গেছেন, তাদের বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানান অতিরিক্ত উপকমিশনার।   প্রসঙ্গত, কয়েক বছরের প্রেমের পরিণতি হিসেবে ২০১৬ সালে তানজিলা হক মিতুকে বিয়ে করেন আকাশ। কিন্তু বিয়ের তিন বছর না যেতেই সেই ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায়।   আকাশের ভাই নেওয়াজ মোরশেদ যুগান্তরকে জানান, আকাশের স্ত্রী মিতুর মা-বাবা আমেরিকায় থাকেন। মিতুও মাঝেমধ্যে মা-বাবার কাছে যান। ১৬ জানুয়ারি তিনি দেশে আসেন। বিয়ের বছর না যেতেই পরকীয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আকাশের সঙ্গে মিতুর দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। পরকীয়া থেকে মিতুকে ফেরাতে না পেরে আমার ভাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, যা মৃত্যুর আগে তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেই স্পষ্ট।   মৃত্যুর আগে ডা. আকাশ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘২০১৬-তে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন আগে জানতে পারি- কিছু দিন আগে শোভন নামে চুয়েটের ৮ম ব্যাচের এক ছেলের সাথে ও হোটেলে রাত কাটায়; আর কত কি লজ্জা লাগছে সব লিখতে। ততদিনে সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেয়া শেষ। আমাকে যেহেতু চট্টগ্রামের সবাই চিনে, তাই বিয়ে কেনসেল (বাতিল) করতে পারিনি লজ্জাতে।’   কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রের সঙ্গে মিতুর পরকীয়া তুলে ধরে ডা. আকাশ লেখেন- ‘ওর মোবাইলে দেখি, ভাইবারে দেখতে পাই মাহবুব নামে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যাচম্যাটের সাথে হোটেলে ...শত শত ছবি। আমি তো বেঁচে থেকেও মৃত হয়ে গেলাম। তার পর ক্ষমা চাইল (স্ত্রী) শবেকদরের রাতে কান্না করে পা ধরে আর কখনো এমন হবে না। আমিও ক্ষমা করে দিয়ে এক বছর ভালোভাবেই সংসার করলাম।’   স্ত্রী সম্পর্কে ডা. আকাশ লেখেন- ‘তারপর ও দেশের বাইরে আমেরিকা গেল, মাঝখানে একবার ঈদ পালন করতে আসল সেপ্টেম্বরে ২০১৮ আবার চলে গেল ইউএসএমএলই এর প্রিপারেশন নিচ্ছিল। সাথে ফেব্রুয়ারিতে ২০১৯ এ আমারও ইউএসএ যাওয়ার কথা।’
আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে স্ত্রীর সঙ্গে হাতাহাতি হয় ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের। তানজিলা হক মিতুকে গ্রেফতারের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
‘আত্মহত্যার প্ররোচনায়’ মিতুর নামে মামলা হচ্ছে
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, আকাশের পরিবারের চান্দগাঁও থানায় মামলা করার কথা রয়েছে। তবে পরিবার মামলা না করলে আকাশের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের ‘ডায়িং ডিক্লারেশন’ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে গ্রেফতারের বিষয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় দামপাড়া পুলিশলাইনসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. মিজানুর রহমান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।  গ্রেফতারের পর মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ করেছেন, সেসব বিষয় যাচাই চলছে। আকাশের মৃত্যুর পেছনে যদি তাদের কারও ইন্ধন থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে মোস্তফা মোরশেদ আকাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশ জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।  শুক্রবার ভোর থেকে আকাশ তার ফেসবুকে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ও বিভিন্ন ছবিসংবলিত যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, সেটি ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।  অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি আমাদের তদন্তের বিষয়। ডিলিট হলেও সেই স্ট্যাটাস রিকোভার করা সম্ভব।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করা হচ্ছে।
মিতুকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন ডা. আকাশ
স্ত্রী তানজিলা হক মিতুকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে।স্ত্রীর প্রতি এই চিকিৎসকের ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। তাই তো স্ত্রীর অপকর্মকে বারবার ক্ষমা করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী এ চিকিৎসক।   স্ত্রীর প্রতি ডা. আকাশের ভালোবাসার বিষয়টি ফুটে উঠেছে মৃত্যুর আগে ফেসবুকে দেয়া তার স্ট্যাটাসে। স্ত্রী তানজিলা হক মিতুকে উদ্দেশ্য করে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস দেন ডা. আকাশ।   স্ট্যাটাসটি ছিল এ রকম- ‘ভালো থেকো আমার ভালোবাসা, তোমার প্রেমিকদের নিয়ে’। এ স্ট্যাটাস দিয়েই শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ (৩২)।   মৃত্যুর ১ ঘণ্টা আগে ভোর ৫টায় ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন ডা. আকাশ। যেখানে তার বুকের ভেতরকার যন্ত্রণা মুঠোফোনের বাটনের মাধ্যমে ফেসবুকের দেয়ালে ফুটে উঠেছে। যেটি দেখলে যে কেউ বুঝবেন, আকাশ প্রচণ্ড অভিমান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।   ডা. আকাশ লেখেন- ‘আমার সঙ্গে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয়। প্রচণ্ড ভালোবাসি ওকে। ও নিজেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। ২০১৬ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন আগে জানতে পারি শোভন নামে এক ছেলের সঙ্গে ও হোটেলে রাত কাটায়। আরও কত কি, লজ্জা লাগছে সব লিখতে।’   এর আগে নিজের ফেসবুকে আরও একটি স্ট্যাটাস দেন আকাশ। এতে স্ত্রী তানজিলা হক মিতুর পরকীয়া ও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করেন ডা. আকাশ।   স্ত্রীর প্রতি ডা. আকাশের দূর্বলতা দেখে অনেকে তাকে বউ পাগলা ডাকত।যেমনটি প্রকাশ পেয়েছে ডা. আকাশের স্ট্যাটাসে। তিনি লেখেন- ‘আমার সাথে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয়। প্রচণ্ড ভালোবাসি ওকে। ও নিজেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমরা ঘুরে বেড়াই, প্রেম করে বেড়াই আমাদের ভালোবাসা কমবেশি সবাই জানে। আমাকে অনেকে বউ পাগলাও ডাকত।’   আকাশ লেখেন- ‘২০১৬-তে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন আগে জানতে পারি- কিছু দিন আগে শোভন নামে চুয়েটের ৮ম ব্যাচের এক ছেলের সাথে ও হোটেলে রাত কাটায়; আর কত কি লজ্জা লাগছে সব লিখতে। ততদিনে সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেয়া শেষ। আমাকে যেহেতু চট্টগ্রামের সবাই চিনে, তাই বিয়ে কেনসেল (বাতিল) করতে পারিনি লজ্জাতে।’   কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রের সঙ্গে মিতুর পরকীয়া তুলে ধরে ডা. আকাশ লেখেন- ‘ওর মোবাইলে দেখি, ভাইবারে দেখতে পাই মাহবুব নামে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যাচম্যাটের সাথে হোটেলে ...শত শত ছবি। আমি তো বেঁচে থেকেও মৃত হয়ে গেলাম। তার পর ক্ষমা চাইল (স্ত্রী) শবেকদরের রাতে কান্না করে পা ধরে আর কখনো এমন হবে না। আমিও ক্ষমা করে দিয়ে এক বছর ভালোভাবেই সংসার করলাম।’   স্ত্রী সম্পর্কে ডা. আকাশ লেখেন- ‘তারপর ও দেশের বাইরে আমেরিকা গেল, মাঝখানে একবার ঈদ পালন করতে আসল সেপ্টেম্বরে ২০১৮ আবার চলে গেল ইউএসএমএলই এর প্রিপারেশন নিচ্ছিল। সাথে ফেব্রুয়ারিতে ২০১৯ এ আমারও ইউএসএ যাওয়ার কথা।’   আমেরিকাতেও মিতুর পরকীয়া ছিল এমনটি জানিয়ে ডা. আকাশ লেখেন-  ‘জানুয়ারি ২০১৯ জানতে পারি ও রেগুলার ক্লাবে যাচ্ছে মদ খাচ্ছে, প্যাটেল নামে এক ছেলের সাথে...। আমি বারবার বলছি- আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট করো না মিথ্যা বলো না। আমার ভালোবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিল। আমি আর সহ্য করতে পারিনি। আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিং-এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চির শান্তির পথ বেছে নিলাম।’   ডা. আকাশ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্ট্যাটাসে। ‘তোমাদেরও বলছি- কাউকে আর ভালো না লাগলে সুন্দরভাবে আলাদা হয়ে যাও চিট করো না মিথ্যা বলো না। আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবে না এত অমায়িক মেয়ে আমিও এসব দেখে ভালোবেসে ছিলাম। ভিতর বাহির যদি এক হতো। সবাই আমার দোষ দেবে সবকিছুর জন্য তাই ব্যাখ্যা করলাম।’   স্ত্রীর প্রতি অভিমানী ডা. আকাশ লেখেন- ‘আমার শাশুড়ি এর জন্য দায়ী এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে। একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে এখনো সমাধান হতো। মা তুমি মাফ করে দিও তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। মায়ের ভালোবাসার কখনো তুলনা চলে না।’   ‘বারবার বলছি-  ভালো না লাগলে আলাদা হয়ে যাও চিট করো না, মিথ্যা বলো না, বিশ্বাস ভাঙ্গিও না। হাজার হাজার ছবি আছে, আরো খারাপ খারাপ দিলাম না, যারা বিলিভ করবে এতেই করবে, না করলে নাই। এই ৯ বছরে বয়ফ্রেন্ড স্বামী স্ত্রীর মতো আবার সবি করে গেল।’   ৯ বছরের ভালোবাসার পরও স্ত্রীর মন না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ডা. আকাশ লেখেন- ‘ও আমাকে আর কি ভালোবাসল? কিসের বিয়ে করল? আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে ওকে নিয়ে থাকতে। আমার শ্বশুর আর শাশুড়িকে বারবার বলছি- উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ ৯টা বছর যাকে ১০০% ভালোবাসছি। ওকে প্ররোচনা দিছে মইন-মিথি নামে দুই ফ্রেন্ড, ওর মা-বাবা আমাকে মানসিক কষ্ট দিয়ে মারছে। আমিই এই বেইমানি মেনে নিতে পারি নাই। তারপরও ভুলে আমি সুন্দর সংসার করতে চাইছি।’   শ্বশুরবাড়ির প্রতি ক্ষুব্ধ ডা. আকাশ আরও লেখেন-‘আমার শাশুড়ি-শ্বশুর আর বউ নামের কলঙ্ক করতে দিল না আমাকে প্রতিনিয়ত প্রেসার দিয়ে গেছে আমার বউ আমার মার নামে যা তা যা তা বলে গেছে। আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে চলে যাইতে বলছি ১০০ বার। আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেক। অনেকে ওর ফ্যান বিলিভ করবে না আমি জানি, তবে এটাই সঠিক মরার আগে কেউ মিথ্যা বলে না আর বাইরে থেকে মানুষের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না।’   আকাশ আরেকটি স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘ও সুন্দরী, পড়ায় ভালো, গান পারে সত্য; কিন্তু ও ভালো অভিনেত্রী ভালো চিটার। যাদের ইচ্ছা বিলিভ করবে, যাদের ইচ্ছা নাই করবে না। তবে কাউকে ভালোবেসে চিটার গিরি করো না।’   এসব স্ট্যাটাস দেয়ার পরই আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ। চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বাশার যুগান্তরকে বলেন- প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর সঙ্গে রাতে ঝগড়া করেন আকাশ। ভোর ৪টার দিকে তার স্ত্রী রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এর পর আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে একপর্যায়ে নিজের শরীরে ইনজেকশন পুশ করে বিষপ্রয়োগ করেন।   চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে ডা. আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার ভাই নেওয়াজ মোরশেদ। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এর আগে বুধবার রাতে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করে রাতে বাসায় যান এ চিকিৎসক।   নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত গণমাধ্যমকে করেছেন ।   ৭ বছরের প্রেমের পরিণতি হিসেবে ২০১৬ সালে তানজিলা হককে ভালোবেসে বিয়ে করেন আকাশ। কিন্তু বিয়ের ৩ বছর না যেতেই সেই ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায়। আকাশের ভাই নেওয়াজ মোরশেদ যুগান্তরকে জানান, আকাশের স্ত্রী মিতুর মা-বাবা আমেরিকায় থাকেন। মিতুও মাঝেমধ্যে মা-বাবার কাছে যান। ১৬ জানুয়ারি তিনি দেশে আসেন। বিয়ের বছর না যেতেই পরকীয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আকাশের সঙ্গে মিতুর দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। পরকীয়া থেকে মিতুকে ফেরাতে না পেরে আমার ভাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যা মৃত্যুর আগে তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেই স্পষ্ট।   ডা. আকাশ বিয়ের আগেই কিছুটা আচ করতে পেরেছিলেন মিতুর খোলামেলা জীবন সম্পর্কে। কিন্তু ততক্ষণে বিয়ের দিন তারিখ পাকা হয়ে গেছে। এ ছাড়া তিনি মিতুর শরীরী সৌন্দর্যকে অস্বীকার করতে পারেননি। সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়ে গেছে বিয়ে ভাঙলে তারা কী ভাববে সেটি ভেবে বিয়েটা ভেঙেও দিলেন না। স্ত্রীর চরিত্রের চেয়ে, সাংসারিক শান্তির চেয়ে ঠুনকো সামাজিক মান-মর্যাদাকেই গুরুত্ব দিলেন বেশি।
স্ত্রী তানজিলা হক মিতুকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে।স্ত্রীর প্রতি এই চিকিৎসকের ভালোবাসা ছিল অকৃত্রিম। তাই তো স্ত্রীর অপকর্মকে বারবার ক্ষমা করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী এ চিকিৎসক।
আখাউড়ায় ব্যতিক্রমী আয়োজনে যুগান্তরের জন্মদিন পালিত
কোনো কেক কেটে নয়; সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ ও ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তরের ২০তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার বিকালে পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে দেড় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষকে খাবার দিয়ে যুগান্তরের ১৯ বছর পূর্তি ও ২০ বছরে পদাপর্ণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আখাউড়া প্রতিনিধি ও আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মিশু।  এ ব্যতিক্রমী আয়োজনে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস, বাংলাদেশ আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের ঢাকা মহানগর (উ.)-এর সাবেক সহসভাপতি কামাল উসমান, আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআই) মো. সিরাজ উদ্দিন, যুগান্তর স্বজন উপদেষ্টা ওয়ালটন জাহাঙ্গীর, উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হান্নান ভূঁইয়া স্বপন প্রমুখ।  এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যুগান্তরের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্টেশন এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের উৎসবে পরিণত হয়। অন্যদিকে যুগান্তর পত্রিকা সাহসী অভিযাত্রায় দুই দশকে পদার্পণে আখাউড়া উপজেলার অজস্র পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ সর্বস্তরের শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সকাল থেকে মাইকে প্রচার চালান স্থানীয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু।
কোনো কেক কেটে নয়; সমাজের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ ও ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তরের ২০তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
স্ত্রীর পরকীয়ার যন্ত্রণা কুরে খাচ্ছিল ডা. আকাশকে
একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর দিনের পর দিন পরকীয়া কুরে খাচ্ছিল ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে। যন্ত্রণা এতটা প্রকট হয়ে উঠেছিল যে, শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী এ চিকিৎসক।   বিষয়টি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে- মৃত্যুর আগে ফেসবুকে দেয়া ডা. আকাশের ‍দুটি স্ট্যাটাসে। স্ত্রী তানজিলা হক মিতুকে উদ্দেশ্য করে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় ফেসবুকে শেষ স্ট্যাটাস দেন ডা. আকাশ। তাতে সাতটি শব্দ ছিল। যার প্রতিটি বর্ণে ছিল স্ত্রীর বেহায়পনার প্রতি ডা. আকাশের ঘৃণা ও ধিক্কার।   স্ট্যাটাসটি ছিল এ রকম- ‘ভালো থেকো আমার ভালোবাসা, তোমার প্রেমিকদের নিয়ে’। এ স্ট্যাটাস দিয়েই শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ (৩২)।   নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসা থেকে সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ডা. আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে।   এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার হন তার স্ত্রী তানজিলা হক মিতু।   মৃত্যুর ১ ঘণ্টা আগে ভোর ৫টায় ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন ডা. আকাশ। যেখানে তার বুকের ভেতরকার যন্ত্রণা মুঠোফোনের বাটনের মাধ্যমে ফেসবুকের দেয়ালে ফুটে উঠেছে। যেটি দেখলে যে কেউ বুঝবেন, আকাশ প্রচণ্ড অভিমান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। স্ত্রীর বেপরোয়া জীবন নিয়ে বিরক্ত ছিলেন তরুণ এ চিকিৎসক। স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে খোলামেলা লিখেছেন ওই স্ট্যাটাসে।   ডা. আকাশ লেখেন- ‘আমার সঙ্গে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয়। প্রচণ্ড ভালোবাসি ওকে। ও নিজেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। ২০১৬ সালে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন আগে জানতে পারি শোভন নামে এক ছেলের সঙ্গে ও হোটেলে রাত কাটায়। আরও কত কি, লজ্জা লাগছে সব লিখতে।’   এর আগে নিজের ফেসবুকে আরও একটি স্ট্যাটাস দেন আকাশ। এতে স্ত্রী তানজিলা হক মিতুর পরকীয়া ও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করেন ডা. আকাশ।   ডা. আকাশ লেখেন- ‘আমার সাথে তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর ২০০৯ সাল থেকে পরিচয়। প্রচণ্ড ভালোবাসি ওকে। ও নিজেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমরা ঘুরে বেড়াই, প্রেম করে বেড়াই আমাদের ভালোবাসা কমবেশি সবাই জানে। আমাকে অনেকে বউ পাগলাও ডাকত।’   আকাশ লেখেন- ‘২০১৬-তে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক দিন আগে জানতে পারি- কিছু দিন আগে শোভন নামে চুয়েটের ৮ম ব্যাচের এক ছেলের সাথে ও হোটেলে রাত কাটায়; আর কত কি লজ্জা লাগছে সব লিখতে। ততদিনে সবাইকে বিয়ের দাওয়াত দেয়া শেষ। আমাকে যেহেতু চট্টগ্রামের সবাই চিনে, তাই বিয়ে কেনসেল (বাতিল) করতে পারিনি লজ্জাতে।’   কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রের সঙ্গে মিতুর পরকীয়া তুলে ধরে ডা. আকাশ লেখেন- ‘ওর মোবাইলে দেখি, ভাইবারে দেখতে পাই মাহবুব নামে কুমিল্লা মেডিকেলের ব্যাচম্যাটের সাথে হোটেলে ...শত শত ছবি। আমি তো বেঁচে থেকেও মৃত হয়ে গেলাম। তার পর ক্ষমা চাইল (স্ত্রী) শবেকদরের রাতে কান্না করে পা ধরে আর কখনো এমন হবে না। আমিও ক্ষমা করে দিয়ে এক বছর ভালোভাবেই সংসার করলাম।’   স্ত্রী সম্পর্কে ডা. আকাশ লেখেন- ‘তারপর ও দেশের বাইরে আমেরিকা গেল, মাঝখানে একবার ঈদ পালন করতে আসল সেপ্টেম্বরে ২০১৮ আবার চলে গেল ইউএসএমএলই এর প্রিপারেশন নিচ্ছিল। সাথে ফেব্রুয়ারিতে ২০১৯ এ আমারও ইউএসএ যাওয়ার কথা।’   আমেরিকাতেও মিতুর পরকীয়া ছিল এমনটি জানিয়ে ডা. আকাশ লেখেন-  ‘জানুয়ারি ২০১৯ জানতে পারি ও রেগুলার ক্লাবে যাচ্ছে মদ খাচ্ছে, প্যাটেল নামে এক ছেলের সাথে...। আমি বারবার বলছি- আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে দাও কিন্তু চিট করো না মিথ্যা বলো না। আমার ভালোবাসা সবসময় ওর জন্য ১০০% ছিল। আমি আর সহ্য করতে পারিনি। আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিং-এর শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চির শান্তির পথ বেছে নিলাম।’   ডা. আকাশ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্ট্যাটাসে। ‘তোমাদেরও বলছি- কাউকে আর ভালো না লাগলে সুন্দরভাবে আলাদা হয়ে যাও চিট করো না মিথ্যা বলো না। আমি জানি অনেকে বিশ্বাস করবে না এত অমায়িক মেয়ে আমিও এসব দেখে ভালোবেসে ছিলাম। ভিতর বাহির যদি এক হতো। সবাই আমার দোষ দেবে সবকিছুর জন্য তাই ব্যাখ্যা করলাম।’   স্ত্রীর প্রতি অভিমানী ডা. আকাশ লেখেন- ‘আমার শাশুড়ি এর জন্য দায়ী এসবের জন্য, মেয়েকে আধুনিক বানাচ্ছে। একটু বেশি বানিয়ে ফেলেছে। উনি চাইলে এখনো সমাধান হতো। মা তুমি মাফ করে দিও তোমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলাম না। মায়ের ভালোবাসার কখনো তুলনা চলে না।’   ‘বারবার বলছি-  ভালো না লাগলে আলাদা হয়ে যাও চিট করো না, মিথ্যা বলো না, বিশ্বাস ভাঙ্গিও না। হাজার হাজার ছবি আছে, আরো খারাপ খারাপ দিলাম না, যারা বিলিভ করবে এতেই করবে, না করলে নাই। এই ৯ বছরে বয়ফ্রেন্ড স্বামী স্ত্রীর মতো আবার সবি করে গেল।’   ৯ বছরের ভালোবাসার পরও স্ত্রীর মন না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ডা. আকাশ লেখেন- ‘ও আমাকে আর কি ভালোবাসল? কিসের বিয়ে করল? আমি শেষ পর্যন্ত চাইছি সব চুপ রেখে সমাধান করে ওকে নিয়ে থাকতে। আমার শ্বশুর আর শাশুড়িকে বারবার বলছি- উনারা সমাধান করতে পারত! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বউ ৯টা বছর যাকে ১০০% ভালোবাসছি। ওকে প্ররোচনা দিছে মইন-মিথি নামে দুই ফ্রেন্ড, ওর মা-বাবা আমাকে মানসিক কষ্ট দিয়ে মারছে। আমিই এই বেইমানি মেনে নিতে পারি নাই। তারপরও ভুলে আমি সুন্দর সংসার করতে চাইছি।’   শ্বশুরবাড়ির প্রতি ক্ষুব্ধ ডা. আকাশ আরও লেখেন-‘আমার শাশুড়ি-শ্বশুর আর বউ নামের কলঙ্ক করতে দিল না আমাকে প্রতিনিয়ত প্রেসার দিয়ে গেছে আমার বউ আমার মার নামে যা তা যা তা বলে গেছে। আমাকে ভালো না লাগলে ছেড়ে চলে যাইতে বলছি ১০০ বার। আমি বোকা ছিলাম তুমি সুখে থেক। অনেকে ওর ফ্যান বিলিভ করবে না আমি জানি, তবে এটাই সঠিক মরার আগে কেউ মিথ্যা বলে না আর বাইরে থেকে মানুষের ভিতরের চেহারা বুঝা যায় না।’   আকাশ আরেকটি স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘ও সুন্দরী, পড়ায় ভালো, গান পারে সত্য; কিন্তু ও ভালো অভিনেত্রী ভালো চিটার। যাদের ইচ্ছা বিলিভ করবে, যাদের ইচ্ছা নাই করবে না। তবে কাউকে ভালোবেসে চিটার গিরি করো না।’   এসব স্ট্যাটাস দেয়ার পরই আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ। চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বাশার যুগান্তরকে বলেন- প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর সঙ্গে রাতে ঝগড়া করেন আকাশ। ভোর ৪টার দিকে তার স্ত্রী রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এর পর আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে একপর্যায়ে নিজের শরীরে ইনজেকশন পুশ করে বিষপ্রয়োগ করেন।   চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে ডা. আকাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার ভাই নেওয়াজ মোরশেদ। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এর আগে বুধবার রাতে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করে রাতে বাসায় যান এ চিকিৎসক।   নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত গণমাধ্যমকে করেছেন ।   ৭ বছরের প্রেমের পরিণতি হিসেবে ২০১৬ সালে তানজিলা হককে ভালোবেসে বিয়ে করেন আকাশ। কিন্তু বিয়ের ৩ বছর না যেতেই সেই ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায়। আকাশের ভাই নেওয়াজ মোরশেদ যুগান্তরকে জানান, আকাশের স্ত্রী মিতুর মা-বাবা আমেরিকায় থাকেন। মিতুও মাঝেমধ্যে মা-বাবার কাছে যান। ১৬ জানুয়ারি তিনি দেশে আসেন। বিয়ের বছর না যেতেই পরকীয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আকাশের সঙ্গে মিতুর দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। পরকীয়া থেকে মিতুকে ফেরাতে না পেরে আমার ভাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যা মৃত্যুর আগে তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেই স্পষ্ট।   ডা. আকাশ বিয়ের আগেই কিছুটা আচ করতে পেরেছিলেন মিতুর খোলামেলা জীবন সম্পর্কে। কিন্তু ততক্ষণে বিয়ের দিন তারিখ পাকা হয়ে গেছে। এ ছাড়া তিনি মিতুর শরীরী সৌন্দর্যকে অস্বীকার করতে পারেননি। সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়ে গেছে বিয়ে ভাঙলে তারা কী ভাববে সেটি ভেবে বিয়েটা ভেঙেও দিলেন না। স্ত্রীর চরিত্রের চেয়ে, সাংসারিক শান্তির চেয়ে ঠুনকো সামাজিক মান-মর্যাদাকেই গুরুত্ব দিলেন বেশি।
একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর দিনের পর দিন পরকীয়া কুরে খাচ্ছিল ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে। যন্ত্রণা এতটা প্রকট হয়ে উঠেছিল যে, শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী এ চিকিৎসক।
ফেনীতে যুবককে হত্যার পর ফেলে গেছে রাস্তায়
ফেনী শহরতলির আলোকদিয়া গ্রামের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার সকাল ৮টায় সদরের আলোকদিয়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।  ফেনী মডেল থানা পুলিশ জানায়, সকালে রাস্তায় লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে।  পুলিশের ধারণা, কে বা কারা তাকে হত্যার পর লাশটি এখানে ফেলে গেছে। লাশের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ফেনী শহরতলির আলোকদিয়া গ্রামের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঝাড়ু হাতে জেলা প্রশাসক!
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্য সম্মত ও পরিবেশ বান্ধব প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষে এবার ঝাড়ু হাতে নিয়ে বিদ্যালয় চত্বর পরিচ্ছন্নতার কাজে নামলেন খোদ সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার পৌর শহরের শহর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। সকালে বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে তিনি প্রশাসন ও শিক্ষাবিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও  শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝাড়ু হাতে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), প্রদীপ সিংহ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন বালা, সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গকুল চন্দ্র দেবনাথ,  সদর উপজেলার উপজেলার সহকারি শিক্ষা অফিসার সোলেমান মিয়া, শহর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি থেকে সরকার সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি বৃহষ্পতিবার পরিচ্ছন্নতা দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্য সম্মত ও পরিবেশ বান্ধব প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষে এবার ঝাড়ু হাতে নিয়ে বিদ্যালয় চত্বর পরিচ্ছন্নতার কাজে নামলেন খোদ সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার পৌর শহরের শহর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। সকালে বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে তিনি প্রশাসন ও শিক্ষাবিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝাড়ু হাতে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), প্রদীপ সিংহ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন বালা, সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গকুল চন্দ্র দেবনাথ, সদর উপজেলার উপজেলার সহকারি শিক্ষা অফিসার সোলেমান মিয়া, শহর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি থেকে সরকার সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতি বৃহষ্পতিবার পরিচ্ছন্নতা দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
তাহিরপুরে সীমান্তের শীর্ষ চোরাকারবারী ইয়াবাসহ ‘হুন্ডি কালাম’ আটক
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের শীর্ষ চোরাকারবারী আবুল কালাম ওরফে  হুন্ডি কালামকে ফের বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কালাম তাহিরপুর সীমান্তের লালঘাট মাইজ পাড়ার মৃত ভানু হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়াঘাট বিওপির লাকমা পশ্চিমপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর বিজিবির সদস্যরা তার দেহ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। ২৮- বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাকসুদুল আলম যুগান্তরকে জানান, বালিয়াঘাট বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্তের লাকমা পশ্চিম পাড়ায় ইয়াবা বিক্রর সময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কালামকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটক করে। আটকের পর রাতেই কালামকে তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করা হলে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, কালামের বিরেুদ্ধে ভারতীয় মুদ্রা (হুন্ডি) ও একটি চাঁদাবাজির মামলা আদালতে বিচারধীন রয়েছে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের শীর্ষ চোরাকারবারী আবুল কালাম ওরফে হুন্ডি কালামকে ফের বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। কালাম তাহিরপুর সীমান্তের লালঘাট মাইজ পাড়ার মৃত ভানু হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়াঘাট বিওপির লাকমা পশ্চিমপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর বিজিবির সদস্যরা তার দেহ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। ২৮- বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাকসুদুল আলম যুগান্তরকে জানান, বালিয়াঘাট বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্তের লাকমা পশ্চিম পাড়ায় ইয়াবা বিক্রর সময় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ কালামকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আটক করে। আটকের পর রাতেই কালামকে তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করা হলে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, কালামের বিরেুদ্ধে ভারতীয় মুদ্রা (হুন্ডি) ও একটি চাঁদাবাজির মামলা আদালতে বিচারধীন রয়েছে।
চট্টগ্রামের সেই চিকিৎসকের স্ত্রী গ্রেফতার
চট্টগ্রামে স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত গণমাধ্যমকে করেছেন । বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন ডা. মোস্তফা আকাশ। আত্মহত্যার আগে ওই চিকিৎসক তার ফেসবুকে স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্নজনের আপত্তিকর ছবি ও চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেন ‘তোমার প্রেমিকদের নিয়ে ভালো থেকো’। শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে সিএমপি জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়।
চট্টগ্রামে স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করা চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত গণমাধ্যমকে করেছেন । বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন ডা. মোস্তফা আকাশ। আত্মহত্যার আগে ওই চিকিৎসক তার ফেসবুকে স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্নজনের আপত্তিকর ছবি ও চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেন ‘তোমার প্রেমিকদের নিয়ে ভালো থেকো’। শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে সিএমপি জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়।
গৌরীপুরে দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
দৈনিক যুগান্তরের ২০তম জন্মদিন উপলক্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে কেক কেটে উদযাপন করা হয়। যুগান্তর স্বজন সমাবেশের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরীপুর পৌর স্বজনের সভাপতি শ্যামল ঘোষ। এতে সঞ্চালনা করেন গৌরীপুর যুগান্তর প্রতিনিধি মো. রইছ উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সেলিম, আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি, গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার গোলাম মোস্তফা, উপজেলা স্বজনের সভাপতি মো. এমদাদুল হক, সহসভাপতি মো. আব্দুল মালেক মাস্টার, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিজন সরকার, রামগোপালপুর পিজেকে উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান, গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মো. শরিফ উদ্দিন, ব্যবসায়ী মো. সামছুল হক, মো. হারুন মিয়া, স্বজন ভুলু ঘোষ প্রমুখ। অতিথিরা দৈনিক যুগান্তরকে দেশের দুর্যোগে-সংগ্রামে, সত্য প্রকাশে সাহসী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে উত্তরোত্তর পাঠপ্রিয় পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করেন।
দৈনিক যুগান্তরের ২০তম জন্মদিন উপলক্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে কেক কেটে উদযাপন করা হয়। যুগান্তর স্বজন সমাবেশের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরীপুর পৌর স্বজনের সভাপতি শ্যামল ঘোষ। এতে সঞ্চালনা করেন গৌরীপুর যুগান্তর প্রতিনিধি মো. রইছ উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সেলিম, আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি, গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার গোলাম মোস্তফা, উপজেলা স্বজনের সভাপতি মো. এমদাদুল হক, সহসভাপতি মো. আব্দুল মালেক মাস্টার, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিজন সরকার, রামগোপালপুর পিজেকে উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান, গৌরীপুর থানার সাবইন্সপেক্টর মো. শরিফ উদ্দিন, ব্যবসায়ী মো. সামছুল হক, মো. হারুন মিয়া, স্বজন ভুলু ঘোষ প্রমুখ। অতিথিরা দৈনিক যুগান্তরকে দেশের দুর্যোগে-সংগ্রামে, সত্য প্রকাশে সাহসী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে উত্তরোত্তর পাঠপ্রিয় পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করেন।
পুলিশে চাকরির কথা বলে প্রতারণা, সুনামগঞ্জে গ্রেফতার ১
পৌনে চার লাখ টাকায় পুলিশে চাকুরি দেয়ার নামে প্রতারণার মামলায় সুনামগঞ্জে  আবদুর রউফ নামের এক প্রতারককে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ব্রাম্মণগাঁও গ্রাম থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।   আব্দুর রউফ সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের বাক্ষ্রণগাঁও গ্রামের আব্দুল মছব্বিরের ছেলে। গ্রেফতারের বিষয়টি পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান যুগান্তরকে নিশ্চিত করে জানান, অন্য প্রতারণার বিষয়েও ডিবি পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগাওে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি কাজি মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী জানান, ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলার মধ্যনগর থানার বাঘেরপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক নিবারণ বিশ্বাসের ছেলে রুবেল বিশ্বাসকে পুলিশ কনষ্টেবল পদে চাকুরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে  ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন আবদুর রউফ। ওই টাকা নিয়ে আবদুর রউফ সুনামগঞ্জ থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হত দরিদ্র কৃষক নিবারণ বিশ্বাস বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
পৌনে চার লাখ টাকায় পুলিশে চাকুরি দেয়ার নামে প্রতারণার মামলায় সুনামগঞ্জে আবদুর রউফ নামের এক প্রতারককে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ভার্সিটি পড়ুয়া ইয়াবা আসক্ত তরুণীর যত কাণ্ড!
বহু আগে একটা কেইস পেয়েছিলাম উপজেলায়। তখনও সাইকিয়াট্রিস্ট হইনি। বিষয়টি  প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।   তরুণী হাসপাতালে আউটডোর রুমে ঢুকেই মাথাব্যথাসহ নানান উপসর্গের কথা একে একে বলতে লাগল। তার কথাবার্তার স্টাইল, পোশাক-আশাকে আভিজাত্য আর আচরণে নেহায়েত উঁচু পরিবারের মনে হলো। যদিও কিছুটা গ্রান্ডুইসিটি, ওভার ভলিউম স্পিচ ছিল।   উপজেলায় আউটডোরে দুই মিনিটের বেশি সময় একটি রোগীকে দেয়া যায় না। খটকা লাগার কারণে তাকে পাশে অপেক্ষা করতে বললাম।  সিরিয়ালের রোগী দেখার পর কথা শুরু করলাম তার রোগ নিয়ে। একপর্যায়ে কথা বলতে বলতে তরুণী ব্যক্তিগত কিছু কথাবার্তা বলা শুরু করলেন, যা নিতান্তই বলার নয়।  অপরিচিত বা সামান্য পরিচিত কারো সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে আবেগপ্রবণ কথার অনেক গুরুত্ব থাকে। "আমি বারিধারার প্রাইভেট ভার্সিটিতে বিবিএ পড়ছি। কাল বাড়িতে এসেছি। পড়াশোনার খরচাপাতি হাতখরচ প্রয়োজন।  কিন্তু বাবা দিতে চান না, কৃপণ প্রকৃতির। যদিও বাবার অনেক টাকা আছে। আর কাল সারারাত বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করেছি এই হাতখরচের টাকা নিয়ে। তারা দেননি, সকালে তাই কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে এসেছি। আই উইল নেভার ব্যাক হোম। প্রয়োজনে বাবার সম্পত্তির জন্য, আই উইল টেক দা লিগ্যাল অ্যাকশন। সো কেস ইন হাইকোর্ট অ্যাগেইন্সট মাই ডার্টি পাপা। বাট নাও ফিলিং সিভেয়ার হেডেক নাও" তারপর ফুঁপিয়ে কান্না।  এমন সময় তার বাবা ফোন দিলেন। তরুণী বললেন, "আই এম ইন হসপিটাল। ডোন্ট কল অ্যাগেইন"। লাইন কেটে দিলেন। হাতে দামি ব্ল্যাকবেরি ফোন। তার বাবা খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে আমার রুমে চলে এলেন। আমার সামনেই বাবা-মেয়ের মধ্যে ফের ঝগড়া উচ্চবাচ্য বিনিময়, টাকা-পয়সা হাতখরচা আরও কিছু ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে।  যাহোক পরে বাবাই সব বললেন।   অনেক দিন ধরে মেয়েটা ইয়াবা ট্যাবলেটে আসক্ত। ঢাকার অভিজাত এলাকায় ইউনিভার্সিটিতে পড়ত কিন্তু ইয়াবার জন্য পড়া আর শেষ করতে পারেনি। স্টাডি ব্রেক বলা যায়।  অবাধ সম্পর্ক আর অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিয়ে করেছিল, সেটা আর টেকেনি। কয়েকটা বন্ধু আছে সেগুলোও এ রকম, অভিজাত সোসাইটির। অনেক কাণ্ডকীর্তি করেছে, করছে। মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম কিন্তু মারতে পারি না। একটা মাত্র মেয়ে। বাবার চোখ ছলছল। আবার শুরু করলেন, "নেশার টাকা না দিলে উচ্ছৃঙ্খলতা করে, আমাদের গালিগালাজ করে এমনকি মারেও। মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রেও কয়েকবার দিয়েছিলাম। ক'দিন ভালো হয়। পরে আবার যেইসেই"।  তরুণীর  বাবার চোখ বেয়ে জল পড়ছিল। ঘটনা প্রায় ১০ বছর আগের। তখনও ইয়াবা আজকের মতো মহামারি আর সহজলভ্য হয়নি। লেখক: ডা. সাঈদ এনাম, সাইকিয়াট্রিস্ট মেম্বার, আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন  মেম্বার, ইউরোপিয়ান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন
বহু আগে একটা কেইস পেয়েছিলাম উপজেলায়। তখনও সাইকিয়াট্রিস্ট হইনি।বিষয়টি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।
বর্ণিল আয়োজনে মালয়েশিয়ায় যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
সাহসী অভিযাত্রা ‘দুই দশকে যুগান্তর’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের বাইরে মালয়েশিয়ায় যুগান্তরের ২০তম বর্ষে পদার্পণ উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ফার্স্ট বিজনেস ইনের হল রুমে কোরআন তেলাওয়াত ও ভাষার মাসে ভাষা শহীদদের স্মরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা। যুগান্তরের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি আহমাদুল কবিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কমিউনিটি নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাশেদ বাদল, লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ইউরো বাংলার সম্পাদক, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও লন্ডন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মোমিন জাহেদী, জহিরুল ইসলাম জহির, জালাল উদ্দিন সেলিম, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. বশির আহমেদ ফারুক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ভাষার মাসের প্রথম দিন দেশের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় দৈনিক যুগান্তরের জন্মদিন। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যুগান্তর বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানোর যে কয়টি সংবাদপত্র রয়েছে তার মধ্যে যুগান্তর একটি। কুয়ালালমপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযোগী ভাবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাইকমিশনকে আপনারা প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবেন না, হাইকমিশন আপনাদের সহযোগী। আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করবেন যাতে আমাদের সেবার পরিধি আরও বিস্তৃত হয়। প্রবাসীদের কল্যানে সেবা প্রধানে হাইকমিশন সর্বাদা স্বচেষ্ট। মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব বলেন, হাইকমিশন কোনো প্রবাসীর সমস্যার কথা শুনলে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করে। প্রবাসীদের সেবা দানে হাইকমিশনের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে কি হয়েছে ভুলে যান। আমাদেরকে তথ্য দিন, আমরা তা সমাধানের জন্য সহযোগিতা করবো। মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কর্মদক্ষতা, ন্যায়নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলতার প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, এই দেশে যতো বড় সুন্দর সুন্দর স্থাপনা রয়েছে তার প্রতিটিতেই বাংলাদেশি কর্মীদের শ্রম আছে। নতুন করে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গে হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করেনি মালয়েশিয়া, এটি পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। হাইকমিশনের প্রচেষ্টায় এর আগে দুই বছরে ৩ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ পেয়েছে মালয়েশিয়ায় বলে তিনি যোগ করেন। কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল বলেন, দেশের ন্যায় প্রবাসীদের সুখ-দুঃখের খবর যুগান্তর আন্তরিকতার সঙ্গে সংবাদ প্রচার করতে সচেষ্ট থাকে। পাশাপাশি সৃজনশীলতার বিকাশে প্রশংসার দাবি রাখে। যুগান্তর সত্য প্রকাশে কখনও পিছপা হয়নি। যুগান্তর দেশের শিল্প-সংস্কৃতির সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করে এ অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে শুরু থেকেই। লন্ডন ইউরো বাংলার সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন জাহেদী তার বক্তব্য বলেন, ১৯ বছর অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পার করা শুধু যুগান্তরের কর্ণধার ও কর্মীদেরই কৃতিত্ব নয়, এর পেছনে পাঠকদেরও কৃতিত্ব রয়েছে। সংবাদ পরিবেশনে যুগান্তর তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হতে দেখা যায়নি কখনও। পাঠকদের প্রত্যাশাকে মূল্য দিয়ে আগামী দিনেও যুগান্তর সামনে এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা প্রবাসীদের। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মো. আবুসাইদ সরকার, আল-আমিন,ইব্রাহিম খলিলসুমন, শহদিুল ইসলাম, আবদুল মান্নান, রহমত উল্লাহ, জাবেদ ফকির, জুয়েল, জামাল বয়াতি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনাম আহমদ প্রমূখ। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব মালয়েশিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, কাজী আশরাফুল, দফতর সম্পাদক মো. শাহরিয়ার তারেক, ফারজানা সুলতানা, আশরাফুল মামুন, মোহাম্মদ আলী,সুমন, শেখ জনি উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন এবং পরস্পরের মুখে কেক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত সকলে করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান। এ ছাড়া যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, ডিফেন্স অ্যাডভাইজার মো. হুমায়ূন কবির, ফার্স্ট সেক্রেটারি কন্স্যুলার মো. মাসুদ হোসাইন, প্রথম সচিব বাণিজ্য মো. রাজিবুল আহসান, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদারসহ প্রবাসী কমিউনিটি, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সাহসী অভিযাত্রা ‘দুই দশকে যুগান্তর’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের বাইরে মালয়েশিয়ায় যুগান্তরের ২০তম বর্ষে পদার্পণ উদযাপিত হয়েছে।
নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা শীর্ষক সেমিনার
বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের স্টারলিং বাংলাবাজার এলাকায় মামুন’স টিউটোরিয়ালে ২৭ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় প্রবাসীদের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হিউম্যান সাপোর্ট কর্পোরেশন ও বাংলাদেশি-আমেরিকান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি ইউএসএ’র সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মো. সোলায়মান আলীর পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুরাদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হারুনুজ্জামান ভূঁইয়া ও কমিউনিটি বোর্ড ৭ এর চেয়ারপার্সন এডালিনা ওয়াকার সান্তিয়াগো। সেমিনারে অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন লেহম্যান কলেজের প্রভাষক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সাফিউল রনি, নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব কনজ্যুমার এফেয়ার্সের সিনিয়র সহকারী তানজিলা রহমান, মামুন’স টিউটরিয়ালের প্রিন্সিপাল ও মূলধারার ম্যাথ টিচার শেখ আল মামুন, রিয়েল এস্টেট ব্রোকার, ট্যাক্স-ইমিগ্রেশন ও মাল্টিসার্ভিস প্রভাইডার মো. সোলায়মান আলী এবং সিপিএ রহমান। মূলআলোচক ফোরডহাম ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. জাকিরুল আলম ভূঁইয়া আধুনিক শিক্ষাগ্রহণ ও ইমিগ্রেশন সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আয়োজকবৃন্দ বলেন, ক্রমবর্ধমান ব্রঙ্কস কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। সেমিনারে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশি-আমেরিকান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি ইউএসএ’র সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ও কফিল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, হিউম্যান সাপোর্ট কর্পোরেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার সেন, নর্থ বেঙ্গল সোসাইটির সহ সভাপতি আবু পাশা, লেখক প্রদীপ কুমার মালাকার, জীবন কৃষ্ণ মন্ডল,আ. মুহিত প্রমুখ।
বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের স্টারলিং বাংলাবাজার এলাকায় মামুন’স টিউটোরিয়ালে ২৭ জানুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় প্রবাসীদের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হিউম্যান সাপোর্ট কর্পোরেশন ও বাংলাদেশি-আমেরিকান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি ইউএসএ’র সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক মো. সোলায়মান আলীর পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুরাদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হারুনুজ্জামান ভূঁইয়া ও কমিউনিটি বোর্ড ৭ এর চেয়ারপার্সন এডালিনা ওয়াকার সান্তিয়াগো। সেমিনারে অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন লেহম্যান কলেজের প্রভাষক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার সাফিউল রনি, নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব কনজ্যুমার এফেয়ার্সের সিনিয়র সহকারী তানজিলা রহমান, মামুন’স টিউটরিয়ালের প্রিন্সিপাল ও মূলধারার ম্যাথ টিচার শেখ আল মামুন, রিয়েল এস্টেট ব্রোকার, ট্যাক্স-ইমিগ্রেশন ও মাল্টিসার্ভিস প্রভাইডার মো. সোলায়মান আলী এবং সিপিএ রহমান। মূলআলোচক ফোরডহাম ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. জাকিরুল আলম ভূঁইয়া আধুনিক শিক্ষাগ্রহণ ও ইমিগ্রেশন সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আয়োজকবৃন্দ বলেন, ক্রমবর্ধমান ব্রঙ্কস কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। সেমিনারে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশি-আমেরিকান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি ইউএসএ’র সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ও কফিল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম মিয়া, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, হিউম্যান সাপোর্ট কর্পোরেশনের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার সেন, নর্থ বেঙ্গল সোসাইটির সহ সভাপতি আবু পাশা, লেখক প্রদীপ কুমার মালাকার, জীবন কৃষ্ণ মন্ডল,আ. মুহিত প্রমুখ।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ও বৈধকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে অপপ্রচার
হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় এক অদৃশ্য সংকটে আটকে আছে জনশক্তি রপ্তানি। জিটুজি প্লাস পদ্ধতি বন্ধ করার পর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও পাঠানো যাচ্ছে না শ্রমিক। এ দিকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে চলছে অপপ্রচার! বিপাকে দু”দেশের সংশ্লিষ্টরা। গত কয়দিন ধরে সামাজিক মাধ্যম ও নাম স্বর্বশ্ব কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এ অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অপপ্রচারে টাকা পয়সা লেন দেন না করতে দু” দেশের সংশ্লিষ্টরা আহবান জানিয়েছেন।  অভিযোগে জানা গেছে, অবশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য খুলে গেল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্লান্টেশন খাতে ১০ হাজার কর্মীর ‘চাহিদাপত্র’ পাঠিয়েছে দেশটি। আবার কখনও রব উঠে অবৈধদের জন্য মালয়েশিয়া সরকার বৈধতা দিচ্ছে, অমুক সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালয়েশিয়ার বাজার খোলার দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আরও কয়েকটি শ্রমবাজার চালুর জন্য কাজ চলছে এবং কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া বেশ এগিয়েছে। কেউ কেউ মালয়েশিয়া গমনিুচ্ছুকদের মেডিকেল করিয়ে বলে দিচ্ছে যাত্রার সম্ভব্য তারিখও । মাঝে মাঝে এত কিছুর আয়োজন হয়ে গেলেও কিন্তু এসব বিষয়ে জানেনা মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। জানবেই বা কি করে! কারন এসবতো কিছু দুষ্টু চক্র ও তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন কিছু নাম সর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালের কারসাজী । এতে করে প্রতারিত হচ্ছে যেমন কিছু লোক তেমনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে মালয়েশিয়া অবস্থানরত প্রবাসীরাও। এসব দুষ্টু চক্রের মনগড়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হতে প্রবাসী সহ সকলকে আহবান জানিয়েছেন মালয়েশিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব(শ্রম শাখা) মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল । তিনি বলেন, আকাশে চাঁদ উঠলে সকলে দেখবে এমন মন্তব্য করে এক ক্ষুদে বার্তায় হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল জানান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী আসবে এটা সত্য । কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার তাদের কিছু প্রক্রিয়া সংশোধন করছে বলে তাতে কিছু সময় লাগছে এবং অবৈধদের ব্যাপারে যেন ভালো কিছু হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় (সামাজিক ও অসাংবাদিক) মালয়েশিয়ায় সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষমান বিষয় নিয়ে এদের অতিরঞ্জিত ও বাড়াবাড়ি প্রচারণার কারণে অতিষ্ঠ মালয়েশিয়া সরকার ও জনগন। এধরনের প্রচারনার কারণে একদিকে যেমন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতিকরা হচ্ছে অন্যদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রিহায়ারিং বা বৈধ হবার নামেও এরা চালাচ্ছে অপপ্রচার । একটি সূত্রে জানা গেছে, দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের চাহিদাপত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা করলেও মিলছে শুধুই আশ্বাস। ফলে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে জনশক্তি প্রেরণ এক রকম থমকে গেছে। কবে খুলবে এই বন্ধ দুয়ার তা জানে না কেউ। কিন্তু থেমে নেই হয়রানি। অবৈধ উপায়ে পাঠানোর হাতছানি দিয়ে বিভিন্নজনের কাছে টাকা, পাসপোর্ট নিয়ে নিচ্ছে দালাল চক্র।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে। এরপর দুই দেশের মধ্যে আর কোনো বৈঠক হয়নি। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে বৈঠক আয়োজনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকেও মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বৈঠকের বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি। ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকার বৈঠকের পর কুয়ালালামপুরে বৈঠক হয়। কুয়ালালামপুরের বৈঠকটি ফলপ্রসূ মনে হয়েছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের বিষয়টি আরও জটিল হচ্ছে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে বৈঠকের সময় চেয়ে চিঠি দিলেও তারা কোনো সাড়া দিচ্ছে না। ইতিমধ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে। তবে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা আশাবাদি খুব শিঘ্রই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উম্মুক্ত হবে। বছর তিনেক আগেও সাগর পথে হাজারো মানুষের মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আলোচনা ছিল। পাচারের ঝুঁকি থাকছেই। ছাত্র ও পর্যটক সাজিয়ে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোসহ নানা উপায়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে নেই। বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাচ্ছে এবং নিরাপদ অভিবাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে, তখন এসব ঘটনা উদ্বেগজনক হারে ঘটছে। মানব পাচার ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকটি সংগঠন বলেছে, বেশির ভাগ মানব পাচার হয় মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে। একশ্রেণির দালালের মাধ্যমে তারা বেশি বেতনের চাকরির লোভে বিদেশ যাচ্ছেন। এতে বৈধ শ্রমবাজারের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণ না ঘটাতে পারলে দেশের বহু মানুষ নিঃস্ব-সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করলেও তার প্রয়োগ হচ্ছে না বললেই চলে। অনেকেই বলছেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে না পারলে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার হারাতে হতে পারে বাংলাদেশকে। এ দিকে মালয়েশিয়ায় অবৈধদেও বৈধকরন প্রক্রিয়া নিয়েও চলছে অপপ্রচার। মালয়েশিয়ার বিগত সরকার তার দেশে থাকা অবৈধ বিদেশীদের বৈধ হওয়ার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই হিসাবে সরকার মাই-ইজি, ভুক্তি মেঘা ও ইমান এ তিনটি ভেন্ডরকে দায়িত্ব দিয়েছিল অবৈধ বিদেশি কর্মীদের নাসম নিবন্ধন করতে। সে সময় এ ভেন্ডর কোম্পানীগুলো কোন কোম্পানীতে কতজন শ্রমিক প্রয়োজন সেটা যাচাইবাচাই না করে ঢালাওভাবে নিবন্ধন শুরু করে। এ তিনটি ভেন্ডরের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানীতে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিবন্ধিত হয়েছিলেন। নিবন্ধিতদের মধ্যে প্রায় তিন লাখের অধিক শ্রমিক ভিসা পেয়েছেন। তারপরও অনেকেই বৈধ হতে পারেননি। কারন কারো নাম জটিলতা, কারো বয়স জটিলতা। আবার কেউ কেউ স্থানীয় এজেন্ট ও দালালকে পাসপোর্ট ও রিংগিত দিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার কারণে বৈধ হতে পারেননি বলে শতশত অভিযোগ হাইকমিশনে জমা পড়ে। প্রতারিত এসব বাংলাদেশি কর্মীদের জটিলতা নিরসন করে যাতে আবারো বৈধ করে নেয়া হয় সে বিসয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছে দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা।  প্রতারিত কর্মীরা বলছেন, ইচ্ছে করে কেউ অবৈধ হয়নি। দালালদের প্ররোচনায় পড়ে প্রতারনার শিকার হয়ে তারা অবৈধ হয়েছেন। একদিকে পরিবারে অন্যদান, অন্যদিকে ঋনগ্রস্থ প্রতারিত এসব কর্মীদের বৈধতা না দিলে দেশে গিয়ে তারা কি করবে? এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা। যাতে দ্রুতত এ-সংক্রান্ত ঘোষণা আসে সে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে হাইকমিশন। এটা করতে পারলে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতারিত কর্মীরা। এ দিকে মালয়েশিয়া গত বছরে মোট ১২ হাজারেরও বেশি অভিযানে ১ লাখ ৫৮ হাজার অভিবাসীর নথিপত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা জানা যায়নি। দেশটিতে অবৈধ থাকা বিদেশি কর্মীদের বৈধ হওয়ার বিষয়টি দীর্ঘ আড়াই বছর ছিল আলোচনায়। অবৈধ কর্মীদের কাজ দেয়ায় এবং বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ হাজার ৩২৩ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়। অভিবাসন বিভাগের কর্তারা বলছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দেশটিতে অবৈধদের বসবাস ঠেকাতে বিভাগটি কাজ করছে এবং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে কোনও পক্ষের সঙ্গে আপস করা হবে না বলেও জানান দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরে ৭২ হাজার ৩'শ ৬১ জনকে পাসপোর্ট ও ভিসা জটিলতার কারণে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৮ (৩) ধারায় পাঁচ বছরের জন্য মালয়েশিয়া প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, মালয়েশিয়ার স্থগিত শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারে সব কিছু চূড়ান্তপর্যায়ে রয়েছে। পরবর্তী ধাপ যেটা আছে সেটা হচ্ছে এ দেশের কেবিনেটে উঠবে। এরপর আমাদের কেবিনেটে এটি অ্যাপ্রোভ করাতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে হাই কমিশনার বলেন, এত কিছুর পরও এখনো যারা আকাশপথে অথবা অবৈধভাবে থাকার জন্য মালয়েশিয়ায় আসার চিন্তা করছে, তারা যেনো ভুলেও এভাবে না আসে। এখন অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় আসা মানেই বিপজ্জনক। আর অবৈধভাবে এলে মালয়েশিয়া সরকার কোনোভাবেই তাদের কাজ করার সুযোগ দেবে না। বরং দেশের মান কমবে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাদের সম্মানের জায়গা করে নিয়েছে। সে সম্মানের জায়গাটুকু ধরে রাখতে হলে যে দেশে কর্মরত রয়েছেন সে দেশের আইনকে সম্মান দেখাতে হবে এবং সকল ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম।
হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় এক অদৃশ্য সংকটে আটকে আছে জনশক্তি রপ্তানি। জিটুজি প্লাস পদ্ধতি বন্ধ করার পর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও পাঠানো যাচ্ছে না শ্রমিক। এ দিকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে চলছে অপপ্রচার! বিপাকে দু”দেশের সংশ্লিষ্টরা। গত কয়দিন ধরে সামাজিক মাধ্যম ও নাম স্বর্বশ্ব কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এ অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অপপ্রচারে টাকা পয়সা লেন দেন না করতে দু” দেশের সংশ্লিষ্টরা আহবান জানিয়েছেন। অভিযোগে জানা গেছে, অবশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য খুলে গেল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্লান্টেশন খাতে ১০ হাজার কর্মীর ‘চাহিদাপত্র’ পাঠিয়েছে দেশটি। আবার কখনও রব উঠে অবৈধদের জন্য মালয়েশিয়া সরকার বৈধতা দিচ্ছে, অমুক সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালয়েশিয়ার বাজার খোলার দিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আরও কয়েকটি শ্রমবাজার চালুর জন্য কাজ চলছে এবং কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া বেশ এগিয়েছে। কেউ কেউ মালয়েশিয়া গমনিুচ্ছুকদের মেডিকেল করিয়ে বলে দিচ্ছে যাত্রার সম্ভব্য তারিখও । মাঝে মাঝে এত কিছুর আয়োজন হয়ে গেলেও কিন্তু এসব বিষয়ে জানেনা মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। জানবেই বা কি করে! কারন এসবতো কিছু দুষ্টু চক্র ও তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন কিছু নাম সর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালের কারসাজী । এতে করে প্রতারিত হচ্ছে যেমন কিছু লোক তেমনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে মালয়েশিয়া অবস্থানরত প্রবাসীরাও। এসব দুষ্টু চক্রের মনগড়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হতে প্রবাসী সহ সকলকে আহবান জানিয়েছেন মালয়েশিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব(শ্রম শাখা) মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল । তিনি বলেন, আকাশে চাঁদ উঠলে সকলে দেখবে এমন মন্তব্য করে এক ক্ষুদে বার্তায় হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল জানান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী আসবে এটা সত্য । কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার তাদের কিছু প্রক্রিয়া সংশোধন করছে বলে তাতে কিছু সময় লাগছে এবং অবৈধদের ব্যাপারে যেন ভালো কিছু হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় (সামাজিক ও অসাংবাদিক) মালয়েশিয়ায় সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষমান বিষয় নিয়ে এদের অতিরঞ্জিত ও বাড়াবাড়ি প্রচারণার কারণে অতিষ্ঠ মালয়েশিয়া সরকার ও জনগন। এধরনের প্রচারনার কারণে একদিকে যেমন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতিকরা হচ্ছে অন্যদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রিহায়ারিং বা বৈধ হবার নামেও এরা চালাচ্ছে অপপ্রচার । একটি সূত্রে জানা গেছে, দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের চাহিদাপত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা করলেও মিলছে শুধুই আশ্বাস। ফলে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে জনশক্তি প্রেরণ এক রকম থমকে গেছে। কবে খুলবে এই বন্ধ দুয়ার তা জানে না কেউ। কিন্তু থেমে নেই হয়রানি। অবৈধ উপায়ে পাঠানোর হাতছানি দিয়ে বিভিন্নজনের কাছে টাকা, পাসপোর্ট নিয়ে নিচ্ছে দালাল চক্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত বছর সেপ্টেম্বরে। এরপর দুই দেশের মধ্যে আর কোনো বৈঠক হয়নি। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে বৈঠক আয়োজনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকেও মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বৈঠকের বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয়নি। ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকার বৈঠকের পর কুয়ালালামপুরে বৈঠক হয়। কুয়ালালামপুরের বৈঠকটি ফলপ্রসূ মনে হয়েছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের বিষয়টি আরও জটিল হচ্ছে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে বৈঠকের সময় চেয়ে চিঠি দিলেও তারা কোনো সাড়া দিচ্ছে না। ইতিমধ্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে। তবে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা আশাবাদি খুব শিঘ্রই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উম্মুক্ত হবে। বছর তিনেক আগেও সাগর পথে হাজারো মানুষের মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আলোচনা ছিল। পাচারের ঝুঁকি থাকছেই। ছাত্র ও পর্যটক সাজিয়ে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোসহ নানা উপায়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা থেমে নেই। বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাচ্ছে এবং নিরাপদ অভিবাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে, তখন এসব ঘটনা উদ্বেগজনক হারে ঘটছে। মানব পাচার ও অভিবাসন নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকটি সংগঠন বলেছে, বেশির ভাগ মানব পাচার হয় মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে। একশ্রেণির দালালের মাধ্যমে তারা বেশি বেতনের চাকরির লোভে বিদেশ যাচ্ছেন। এতে বৈধ শ্রমবাজারের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণ না ঘটাতে পারলে দেশের বহু মানুষ নিঃস্ব-সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করলেও তার প্রয়োগ হচ্ছে না বললেই চলে। অনেকেই বলছেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে না পারলে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার হারাতে হতে পারে বাংলাদেশকে। এ দিকে মালয়েশিয়ায় অবৈধদেও বৈধকরন প্রক্রিয়া নিয়েও চলছে অপপ্রচার। মালয়েশিয়ার বিগত সরকার তার দেশে থাকা অবৈধ বিদেশীদের বৈধ হওয়ার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই হিসাবে সরকার মাই-ইজি, ভুক্তি মেঘা ও ইমান এ তিনটি ভেন্ডরকে দায়িত্ব দিয়েছিল অবৈধ বিদেশি কর্মীদের নাসম নিবন্ধন করতে। সে সময় এ ভেন্ডর কোম্পানীগুলো কোন কোম্পানীতে কতজন শ্রমিক প্রয়োজন সেটা যাচাইবাচাই না করে ঢালাওভাবে নিবন্ধন শুরু করে। এ তিনটি ভেন্ডরের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানীতে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিবন্ধিত হয়েছিলেন। নিবন্ধিতদের মধ্যে প্রায় তিন লাখের অধিক শ্রমিক ভিসা পেয়েছেন। তারপরও অনেকেই বৈধ হতে পারেননি। কারন কারো নাম জটিলতা, কারো বয়স জটিলতা। আবার কেউ কেউ স্থানীয় এজেন্ট ও দালালকে পাসপোর্ট ও রিংগিত দিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার কারণে বৈধ হতে পারেননি বলে শতশত অভিযোগ হাইকমিশনে জমা পড়ে। প্রতারিত এসব বাংলাদেশি কর্মীদের জটিলতা নিরসন করে যাতে আবারো বৈধ করে নেয়া হয় সে বিসয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছে দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা। প্রতারিত কর্মীরা বলছেন, ইচ্ছে করে কেউ অবৈধ হয়নি। দালালদের প্ররোচনায় পড়ে প্রতারনার শিকার হয়ে তারা অবৈধ হয়েছেন। একদিকে পরিবারে অন্যদান, অন্যদিকে ঋনগ্রস্থ প্রতারিত এসব কর্মীদের বৈধতা না দিলে দেশে গিয়ে তারা কি করবে? এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তারা। যাতে দ্রুতত এ-সংক্রান্ত ঘোষণা আসে সে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে হাইকমিশন। এটা করতে পারলে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতারিত কর্মীরা। এ দিকে মালয়েশিয়া গত বছরে মোট ১২ হাজারেরও বেশি অভিযানে ১ লাখ ৫৮ হাজার অভিবাসীর নথিপত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা জানা যায়নি। দেশটিতে অবৈধ থাকা বিদেশি কর্মীদের বৈধ হওয়ার বিষয়টি দীর্ঘ আড়াই বছর ছিল আলোচনায়। অবৈধ কর্মীদের কাজ দেয়ায় এবং বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ হাজার ৩২৩ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়। অভিবাসন বিভাগের কর্তারা বলছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দেশটিতে অবৈধদের বসবাস ঠেকাতে বিভাগটি কাজ করছে এবং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে কোনও পক্ষের সঙ্গে আপস করা হবে না বলেও জানান দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরে ৭২ হাজার ৩'শ ৬১ জনকে পাসপোর্ট ও ভিসা জটিলতার কারণে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ৮ (৩) ধারায় পাঁচ বছরের জন্য মালয়েশিয়া প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, মালয়েশিয়ার স্থগিত শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারে সব কিছু চূড়ান্তপর্যায়ে রয়েছে। পরবর্তী ধাপ যেটা আছে সেটা হচ্ছে এ দেশের কেবিনেটে উঠবে। এরপর আমাদের কেবিনেটে এটি অ্যাপ্রোভ করাতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে হাই কমিশনার বলেন, এত কিছুর পরও এখনো যারা আকাশপথে অথবা অবৈধভাবে থাকার জন্য মালয়েশিয়ায় আসার চিন্তা করছে, তারা যেনো ভুলেও এভাবে না আসে। এখন অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় আসা মানেই বিপজ্জনক। আর অবৈধভাবে এলে মালয়েশিয়া সরকার কোনোভাবেই তাদের কাজ করার সুযোগ দেবে না। বরং দেশের মান কমবে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাদের সম্মানের জায়গা করে নিয়েছে। সে সম্মানের জায়গাটুকু ধরে রাখতে হলে যে দেশে কর্মরত রয়েছেন সে দেশের আইনকে সম্মান দেখাতে হবে এবং সকল ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম।
কাতারে আইডিইবি নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কাতার চ্যাপ্টার এর নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক দোহার ক্রাউন প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জাহেদুল ইসলাম।আর প্রধান অতিথি ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদূত আসুদ আহমেদ।বিশেষ অতিথি ছিলেন কাতার কমিউনিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আবদুল আজিজ আল মোহান্নাদি ও কোঅরডিনেটর ড. বাহাউদ্দীন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মুকিত, ইঞ্জিনিয়ার আমানত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার বিল্লাল হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা। রাষ্ট্রদূত অভিনন্দন জানিয়ে বলেন প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশে সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এ সংগঠন।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কাতার চ্যাপ্টার এর নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক দোহার ক্রাউন প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জাহেদুল ইসলাম।আর প্রধান অতিথি ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদূত আসুদ আহমেদ।বিশেষ অতিথি ছিলেন কাতার কমিউনিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আবদুল আজিজ আল মোহান্নাদি ও কোঅরডিনেটর ড. বাহাউদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মুকিত, ইঞ্জিনিয়ার আমানত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার বিল্লাল হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যরা। রাষ্ট্রদূত অভিনন্দন জানিয়ে বলেন প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশে সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এ সংগঠন।
বিশ্বের ব্যস্ততম দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে। টানা পাঁচ বছর এ বিমানবন্দরটি এ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। দুবাই তথা আমিরাতে অধিকহারে আন্তর্জাতিক যাত্রীর আসা যাওয়ার কারণে দুবাই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমিরাত নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ৫ বছর যাবৎ এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে রেকর্ড ধরে রেখেছে। এর মাধ্যমে এভিয়েশন সেক্টরে দেশটির অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৮ সালে যাত্রীর উঠানামার হিসেবে ২০১৭ সালের চেয়ে ১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিমানবন্দরে ২০১৮ সালে মোট যাত্রী ছিল ৮৯.১ মিলিয়ন। ২০১৭ সালে যা ছিল ৮৮.২ মিলিয়ন। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০.৩ মিলিয়ন। কিন্তু উপসাগরীয় অঞ্চলে তেলের দাম কমায় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সেটা পূরণ হয়নি। গত দশকে এটি ছিল সবচেয়ে কম বৃদ্ধি। ২০১৪ সালে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরকে অতিক্রম করে দুবাই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হয়। দুবাই বিমানবন্দরের সিও পল গ্রিফিথ এ বিষয়ে বলেন, ‘দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল-এর একটি অংশের সম্প্রসারণ গত বছর শেষ হয়েছে। ফলে এটিতে এখন প্রতিবছর গড়ে ২৬ মিলিয়ন প্যাসেঞ্জার ধারণের সক্ষমতা গড়ে উঠেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নতুন পন্থা বের করেছি বন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে।’ এ বিষয়ে লন্ডনের এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ সাজ আহমেদ বলেন, ‘এমিরেটস এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই দুবাই এ সফলতায় অবদান রেখেছে বিশেষভাবে।’ এ বিষয়ে আরব আমিরাতের অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী ও বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সুলতান বিন সাইদ মানসুরি বলেন, ‘এ সেক্টরে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন দিরহাম বিনিয়োগ করা হয়েছে।’ তিনি অতিরিক্ত ২৩ বিলিয়ন দিরহাম এভিয়েশন সেক্টরের অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান। ‘আমরা আশা করি দেশের ২০% জিডিপি এ খাত থেকে আসবে যা আগে ছিল ১৫%। তিনি দুবাইয়ে সিভিল এভিয়েশনে বৈশ্বিক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এমনটি বলেন। আমিরাতের প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক দি খালিজ টাইমস-এর তথ্যমতে গত বছর ভারতীয় যাত্রীই বেশি ছিল দুবাই বিমানবন্দরে। ভারতীয় যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১২ মিলিয়ন। ভারতের কোচিন, দিল্লি, মুম্বাই থেকে প্রচুর যাত্রীও ছিল যাদের অধিকাংশ এসেছিলেন ভিজিটর হিসেবে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সৌদি আরবের যাত্রী, ৬.৪৭ মিলিয়ন যাত্রী ছিল দেশটির।যুক্তরাজ্যের ৬.২৮ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের ৩.২ মিলিয়ন, চীনের যাত্রী ছিল ৩.৫ মিলিয়ন ও রাশিয়ার ১.৫৩ মিলিয়ন। এছাড়াও বাংলাদেশ, পাকিস্তান শ্রীলংকা সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের যাত্রীর আসা যাওয়াও বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল গত বছর। দুবাই বিমানবন্দরটি বিশ্বে যেমন ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত তেমনিভাবে গ্রাহক সন্তুষ্টিতেও এ বিমানবন্দরটি পিছিয়ে নেই। এ বিমানবন্দর দিয়ে আগত যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ ইমিগ্রেশনে বা চেক ইন আউটসহ বিমানবন্দরে খাওয়াদাওয়া, বেভারেজসহ ডিউটি ফ্রি মার্কেট হতে অপেক্ষাকৃত সূলভমূল্যে পণ্য কেনাকাটায় যাত্রীরা অধিক সন্তুষ্ট।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে। টানা পাঁচ বছর এ বিমানবন্দরটি এ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। দুবাই তথা আমিরাতে অধিকহারে আন্তর্জাতিক যাত্রীর আসা যাওয়ার কারণে দুবাই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমিরাত নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ৫ বছর যাবৎ এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে রেকর্ড ধরে রেখেছে। এর মাধ্যমে এভিয়েশন সেক্টরে দেশটির অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০১৮ সালে যাত্রীর উঠানামার হিসেবে ২০১৭ সালের চেয়ে ১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিমানবন্দরে ২০১৮ সালে মোট যাত্রী ছিল ৮৯.১ মিলিয়ন। ২০১৭ সালে যা ছিল ৮৮.২ মিলিয়ন। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০.৩ মিলিয়ন। কিন্তু উপসাগরীয় অঞ্চলে তেলের দাম কমায় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সেটা পূরণ হয়নি। গত দশকে এটি ছিল সবচেয়ে কম বৃদ্ধি। ২০১৪ সালে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরকে অতিক্রম করে দুবাই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হয়। দুবাই বিমানবন্দরের সিও পল গ্রিফিথ এ বিষয়ে বলেন, ‘দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল-এর একটি অংশের সম্প্রসারণ গত বছর শেষ হয়েছে। ফলে এটিতে এখন প্রতিবছর গড়ে ২৬ মিলিয়ন প্যাসেঞ্জার ধারণের সক্ষমতা গড়ে উঠেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নতুন পন্থা বের করেছি বন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা ও সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে।’ এ বিষয়ে লন্ডনের এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ সাজ আহমেদ বলেন, ‘এমিরেটস এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই দুবাই এ সফলতায় অবদান রেখেছে বিশেষভাবে।’ এ বিষয়ে আরব আমিরাতের অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী ও বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সুলতান বিন সাইদ মানসুরি বলেন, ‘এ সেক্টরে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন দিরহাম বিনিয়োগ করা হয়েছে।’ তিনি অতিরিক্ত ২৩ বিলিয়ন দিরহাম এভিয়েশন সেক্টরের অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান। ‘আমরা আশা করি দেশের ২০% জিডিপি এ খাত থেকে আসবে যা আগে ছিল ১৫%। তিনি দুবাইয়ে সিভিল এভিয়েশনে বৈশ্বিক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এমনটি বলেন। আমিরাতের প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক দি খালিজ টাইমস-এর তথ্যমতে গত বছর ভারতীয় যাত্রীই বেশি ছিল দুবাই বিমানবন্দরে। ভারতীয় যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১২ মিলিয়ন। ভারতের কোচিন, দিল্লি, মুম্বাই থেকে প্রচুর যাত্রীও ছিল যাদের অধিকাংশ এসেছিলেন ভিজিটর হিসেবে। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল সৌদি আরবের যাত্রী, ৬.৪৭ মিলিয়ন যাত্রী ছিল দেশটির।যুক্তরাজ্যের ৬.২৮ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের ৩.২ মিলিয়ন, চীনের যাত্রী ছিল ৩.৫ মিলিয়ন ও রাশিয়ার ১.৫৩ মিলিয়ন। এছাড়াও বাংলাদেশ, পাকিস্তান শ্রীলংকা সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের যাত্রীর আসা যাওয়াও বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল গত বছর। দুবাই বিমানবন্দরটি বিশ্বে যেমন ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত তেমনিভাবে গ্রাহক সন্তুষ্টিতেও এ বিমানবন্দরটি পিছিয়ে নেই। এ বিমানবন্দর দিয়ে আগত যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ ইমিগ্রেশনে বা চেক ইন আউটসহ বিমানবন্দরে খাওয়াদাওয়া, বেভারেজসহ ডিউটি ফ্রি মার্কেট হতে অপেক্ষাকৃত সূলভমূল্যে পণ্য কেনাকাটায় যাত্রীরা অধিক সন্তুষ্ট।
আমিরাতে বৈধপতে টাকা পাঠানোর আহ্বান
পরবাস থেকে হুণ্ডিতে টাকা পাঠানো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ। প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে প্রবাসীকে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যমুনা ব্যাংক আয়োজিত প্রবাসীদের সম্মিলন ও সি এস আর সেমিনারে বক্তারা এ আহ্বান করেন। শারজাহের একটি রেস্তোরায় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের এমডি শফিকুল আলম। ম্যাজিক এ্যান্ড ফান ইভেন্টের পরিচালক মামুন চৌধুরী ও সোনিয়া সামিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোশাররফ হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেন, ব্যাংকের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, অস্কার নিওনের এমডি তফাজ্জল হোসেনসহ আরো অনেকে। এ সময় প্রবাসীরা বিনা চার্জে ব্যাংক একাউন্ট খুলেন। পরে রাফেল ডতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
পরবাস থেকে হুণ্ডিতে টাকা পাঠানো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ। প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রাখতে প্রবাসীকে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যমুনা ব্যাংক আয়োজিত প্রবাসীদের সম্মিলন ও সি এস আর সেমিনারে বক্তারা এ আহ্বান করেন। শারজাহের একটি রেস্তোরায় আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের এমডি শফিকুল আলম। ম্যাজিক এ্যান্ড ফান ইভেন্টের পরিচালক মামুন চৌধুরী ও সোনিয়া সামিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোশাররফ হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেন, ব্যাংকের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, অস্কার নিওনের এমডি তফাজ্জল হোসেনসহ আরো অনেকে। এ সময় প্রবাসীরা বিনা চার্জে ব্যাংক একাউন্ট খুলেন। পরে রাফেল ডতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
সৌদি আরবের আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব
সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশের কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের অংশগ্রহনে ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ছাত্রদের উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরব বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইং সচিব ফখরুল ইসলাম মেলায় যোগদান করেন। আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উৎসবে ২০ টি দেশের বিদেশী ছাত্ররা নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য, পোশাক ও খাবারের প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এ উৎসবে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন আরব ও আফ্রিকান দেশের মুসলিম ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্ররা তাদের স্টল দেশীয় বিভিন্ন খাবার, কারুশিল্প, গ্রামীণ ঐতিহ্য দিয়ে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলে ধরে। স্টলে বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের নাম বাংলায় লিখে তাদের বাংলা ভাষার সঙ্গে পরিচয় করে দেয় বাঙালী ছাত্ররা। উৎসবে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে একটি রিকশায় করে অতিথিদের উৎসব প্রাঙ্গনে ঘোরানো হয়। বাংলাদেশের স্টলে দেশীয় ঐতিহ্য হিসেবে পালকিও রাখা হয়। উৎসবে আগত ছাত্র ও অতিথিগন বাংলাদেশের পিঠা ও মিষ্টির প্রশংসা করেন।  আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ছাত্ররা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। উৎসবের আয়োজকগণ বাংলাদেশি স্টলের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশি ছাত্রদের পড়াশোনায় ভালো ফলাফল ও নিয়মানুবর্তিতারও প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।  এ উৎসবে বাংলাদেশি ছাত্রদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্ধুর্তপূর্ণ সম্পর্ক ও বৃদ্ধি পাবে। তিনি সৌদি আরবে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের যেকোন প্রয়োজনে দূতাবাস পাশে রয়েছে বলে জানান।  এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী ৩০ জন ছাত্র সম্পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে। ছাত্রদের জন্য আধুনিক লাইব্রেরী ও উন্নতমানের ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে খুবই উন্নতমানের হোস্টেল। পড়াশোনার জন্য ছাত্ররা মাসিক বৃত্তির অর্থ পেয়ে থাকেন।  এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন। যার মধ্যে প্রায় ৭০ টি দেশের তিন সহস্রাধিক ছাত্র রয়েছে। বাংলাদেশি ছাত্র ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
সৌদি আরবের আল কাসিম প্রদেশের কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের অংশগ্রহনে ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ছিল শেষ দিন। ছাত্রদের উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরব বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইং সচিব ফখরুল ইসলাম মেলায় যোগদান করেন। আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ উৎসবে ২০ টি দেশের বিদেশী ছাত্ররা নিজ নিজ দেশের ঐতিহ্য, পোশাক ও খাবারের প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এ উৎসবে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন আরব ও আফ্রিকান দেশের মুসলিম ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্ররা তাদের স্টল দেশীয় বিভিন্ন খাবার, কারুশিল্প, গ্রামীণ ঐতিহ্য দিয়ে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলে ধরে। স্টলে বিভিন্ন দেশের ছাত্রদের নাম বাংলায় লিখে তাদের বাংলা ভাষার সঙ্গে পরিচয় করে দেয় বাঙালী ছাত্ররা। উৎসবে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে একটি রিকশায় করে অতিথিদের উৎসব প্রাঙ্গনে ঘোরানো হয়। বাংলাদেশের স্টলে দেশীয় ঐতিহ্য হিসেবে পালকিও রাখা হয়। উৎসবে আগত ছাত্র ও অতিথিগন বাংলাদেশের পিঠা ও মিষ্টির প্রশংসা করেন। আল কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ছাত্ররা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। উৎসবের আয়োজকগণ বাংলাদেশি স্টলের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশি ছাত্রদের পড়াশোনায় ভালো ফলাফল ও নিয়মানুবর্তিতারও প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ উৎসবে বাংলাদেশি ছাত্রদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্ধুর্তপূর্ণ সম্পর্ক ও বৃদ্ধি পাবে। তিনি সৌদি আরবে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের যেকোন প্রয়োজনে দূতাবাস পাশে রয়েছে বলে জানান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী ৩০ জন ছাত্র সম্পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে। ছাত্রদের জন্য আধুনিক লাইব্রেরী ও উন্নতমানের ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে খুবই উন্নতমানের হোস্টেল। পড়াশোনার জন্য ছাত্ররা মাসিক বৃত্তির অর্থ পেয়ে থাকেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন। যার মধ্যে প্রায় ৭০ টি দেশের তিন সহস্রাধিক ছাত্র রয়েছে। বাংলাদেশি ছাত্র ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ জন বাংলাদেশি শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
ইবির আইন বিভাগ অবরোধ, সনদের বৈধতা চান সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীরা
সনদের বৈধতার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগ অবরোধ করেছেন সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের তৃতীয়তলায় বিভাগের কলাপসিবল গেট ও শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২ বছরমেয়াদি সান্ধ্যকালীন সনদে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় আবেদন করতে পারছেন না। এ অভিযোগে শিক্ষার্থীরা পূর্বনির্ধারিত এলএলবি এবং এলএলএম ব্যাচের পরীক্ষা বয়কট করে বিভাগ অবরোধ করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অবরোধকারী ও বিভাগীয় সূত্র জানায়, পূর্বনির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী সকাল ১০টায় এলএলবি এবং দুপুর সোয়া ২টায় এলএলএম শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তারা বিভাগের সামনে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেন। বিভাগীয় সভাপতির কক্ষের সামনে অবস্থানকালে তারা বিভাগের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২ বছরমেয়াদি প্রাপ্ত ডিগ্রি দিয়ে অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না তারা। কারণ হিসেবে তারা জানান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তাদের সনদের (এলএলবি) অনুমোদন না থাকায় পরীক্ষার আবেদন করতে পারছেন না তারা। এক্ষেত্রে বার কাউন্সিল কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি সান্ধ্যকালীন কোর্সের নিবন্ধন জটিলতার কারণে মূলত এমনটি হচ্ছে বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া দুই বছরমেয়াদি সান্ধ্যকালীন (এলএলবি) কোর্স শেষ করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে পরীক্ষার আবেদন করতে গেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সের (এলএলবি) কোনো নিবন্ধন নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা জানান, বার কাউন্সিল থেকে এটাও জানানো হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অথবা আইন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠির কোনো জবাব দেয়া হয়নি। সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর দীর্ঘদিন পার হলেও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেন তারা। এর আগে সকালে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বিভাগীয় সভাপতি সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে বিষয়টি সুরাহা হয়নি। পরে দ্বিতীয় দফায় সভাপতিসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে পরীক্ষা দিতে সম্মত হন শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বিভাগের অধীন চালু থাকা ২ বছরমেয়াদি এলএলবি কোর্সবিষয়ক বিস্তারিত তথ্য দেয়ার নির্দেশ আসে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বছরমেয়াদি কোর্সেও ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয় ওই চিঠিতে। এ বিষয়ে আইন বিভাগের সাভাপতি প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের এটা করা ঠিক হয়নি। আমরা বারের নোটিশ পাওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে সব ডকুমেন্ট পাঠিয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, আশা করছি অতিদ্রুত সুষ্ঠু সমাধান হবে।’
সনদের বৈধতার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগ অবরোধ করেছেন সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীরা।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু শনিবার
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার।  এবার সারা দেশে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।  তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭ লাখ ১০২, দাখিল ৩ লাখ ১০ হাজার ১৭২ এবং এসএসসি ভোকেশনালে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৯ পরীক্ষার্থী রয়েছে।  মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৭ জন নিয়মিত। বাকিদের কেউ গত বছর এক বিষয়ে, কেউবা দুই ও ততোধিক বিষয়ে ফেল করেছিল। সব মিলে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৪ জন; আর ফল উন্নয়ন প্রার্থী ৩ হাজার ৩৪২ জন।  গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫৬ হাজার ২০৫ জন। বাকি ৪৭ হাজার ২২৯ জন ছাত্র। এবার বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এ বছর ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৩ জন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। গত বছর বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী ছিল ৫ লাখ ৩ হাজার ৬২৭ জন।   ৩ হাজার ৪৯৭ কেন্দ্রে হচ্ছে এ পরীক্ষা। ২৮ হাজার ৬৮২ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার।
ছাত্রলীগের মতো একই দাবি ছাত্রদল ও বাম ছাত্র সংগঠনের
১৯৯৪ সালে ডাকসু ও হল নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র একাডেমিক ভবনে বসানোর দাবি তুলেছিল ছাত্রলীগ। প্রায় ২৫ বছর পর একই দাবি উঠেছে। তবে দাবি এক থাকলেও দাবিদার বদলে গেছে। ১৯৯৪ সালে দাবি ছিল ছাত্রলীগের- বিরোধিতা করেছে ছাত্রদল। এবার ছাত্রদল ও প্রগতিশীল বাম ছাত্র সংগঠনগুলো সেই দাবিতে সোচ্চার। কিন্তু বিরোধিতা করছে ছাত্রলীগ।  ২৫ বছরের ব্যবধানে বড় দুটি ছাত্র সংগঠনের এ ধরনের অবস্থান পরিবর্তন ক্যাম্পাসে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ২৯ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের গুঞ্জন উঠেছে। ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও এ ধরনের আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জনের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’ এদিকে ডাকসু নির্বাচনের রেকর্ড ঘেঁটে দেখা গেছে, ১৯৯০ সালের ৬ জুন সর্বশেষ নির্বাচনের ১ বছর পর ১৯৯১ সালের ১২ জুন তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তখন ছাত্রনেতারা ছাত্রত্ব ঠিক রেখে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিশেষ ভর্তির দাবি করেন। এ নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতায় নির্বাচন ভেস্তে যায়।  ১৯৯৪ সালের এপ্রিলে ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করেন। কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের বাধার মুখে নির্বাচন স্থগিত হয়। তখন ছাত্রলীগের বক্তব্য ছিল, ‘হলে হলে ভোট কেন্দ্র হলে ছাত্ররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে না।  এতে কারচুপির সম্ভাবনা থাকে। তাই কলা ভবনে ভোট কেন্দ্র করতে হবে।’ আর ছাত্রদল তখন বলেছে, ‘নির্বাচন হেরে যাওয়ার ভয়ে ছাত্রলীগ এমন দাবি করছে। এ দাবি অযৌক্তিক।’ ভোট কেন্দ্রের বিষয়ে ছাত্রলীগ ছাত্রদলের এমন অবস্থানের পর বয়ে গেছে দীর্ঘ ২৫ বছর। চলতি বছরের ১১ মার্চ ঘোষণা হয়েছে ডাকসু নির্বাচনের তারিখ। ২৯ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের সভায় হলে হলে ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অথচ সময়ের পরিবর্তনে বদলে গেছে দেশের প্রধান দুটি ছাত্র সংগঠনের বক্তব্য। এবার ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলছেন, একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তির চেষ্টা করছে। হলের ভেতরে ভোট কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতবর্ষী ঐতিহ্য ও প্রথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৬৫ শতাংশ হলে অবস্থান করে। একাডেমিক, প্রশাসনিক, সহপাঠ্য ও হল সংসদের কার্যক্রম হলের আবাসিক বৈশিষ্ট্যকে উপজীব্য করেই। তাই ভোট কেন্দ্র নিয়ে ন্যূনতম বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। ছাত্রলীগের এ বক্তব্যের বিরোধিতায় ছাত্রদল ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী যুগান্তরকে বলেন, ভোট কেন্দ্র একাডেমিক ভবনেই হতে হবে। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ছাত্রলীগকে বিজয়ী করতে প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে এবার ক্যাম্পাসের বাইরে ভোট কেন্দ্র করার দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। সরকারবিরোধী বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্র জোট বলছে, শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারে, তার জন্য হলের বাইরে একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র করতে হবে।  যেহেতু হলে সহাবস্থান নেই, তাই হলে ভোট কেন্দ্র করলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রে প্রভাব সৃষ্টি করবে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া ভেস্তে যাবে।  একাডেমিক ভবনে ভোট কেন্দ্র নেয়ার দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান জোটের ঢাবি শাখার সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী। এদিকে ১১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও এ ধরনের আশঙ্কা দেখা গেছে।  বুধবার ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার তোড়জোড় থাকলেও, পরিবেশ নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ততটাই নির্জীব। তাতে নির্বাচন হবে কিনা সে সন্দেহ প্রবলভাবে বাড়ছে।  আমরা চাই সব বাধা দূর হোক, অমানিশার ঘোর অন্ধকার কাটুক, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।’ এছাড়া ডাকসু সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপকালেও উঠে এসেছে এ ধরনের আশঙ্কার কথা। তবে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তারা। অন্যদিকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকেও।  এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী যুগান্তরকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিষয়ে আমি অবহিত নই।’  নির্বাচন পেছানো হতে পারি কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কেউ আমাকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।’
১৯৯৪ সালে ডাকসু ও হল নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র একাডেমিক ভবনে বসানোর দাবি তুলেছিল ছাত্রলীগ। প্রায় ২৫ বছর পর একই দাবি উঠেছে। তবে দাবি এক থাকলেও দাবিদার বদলে গেছে।
বাণিজ্য মেলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে বিনোদনের সুযোগ
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে বিনোদনের সুযোগ করে দিয়েছে সারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড পার্ক। এই পার্কটির সব রাইড বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা। ইতিমধ্যে অটিস্টিক শিশুদের বিনোদনের সুযোগ করে দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই পার্কটি। প্রতিদিনই অনেক অভিভাবক তাদের প্রতিবন্ধী শিশুদের মেলায় নিয়ে এসে বিনোদনের সুযোগ নিচ্ছেন। ভিন্নধর্মী এ পার্কটি বাণিজ্য মেলায় ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর চালু রয়েছে। পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, পার্কটি চালুর পর যখন দেখলাম প্রতিবন্ধী শিশুদের কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা নেই, পার্কের কোনো রাইডে উঠতে দেয়া হয় না, তখন তাদের প্রতি সহানুভূতি থেকেই এ উদ্যোগ নেই আমি। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য রাইডগুলো সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেই। মেলায় হাজার হাজার বিজ্ঞাপনের মাঝে প্রতিবন্ধীদের ফ্রি বিনোদনের বিজ্ঞাপন অনেকেরই নজর কাড়ছে। অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন এই পার্কে। ডা. সানজিদা ইসলাম নামে একজন অভিভাবক বলেন, আমার একটি ছেলে আছে প্রতিবন্ধী। আমি মেলায় এলে ছেলেকে বাসায় রেখে আসতাম। কারণ ছেলের বিনোদনের কিছু ছিল না। কিন্তু সারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ডের এই আয়োজনের কারণে আমার ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছি। অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে আমার সন্তানও কিছুটা আনন্দের সুযোগ পাচ্ছে। এ জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী প্রতিবন্ধীদের জন্য ফ্রি বিনোদনের আয়োজন উদ্বোধন করেছেন। গত বছর মেলায় বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পার্কে এসে অটিস্টিক শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। দীপু মনি শিশুদের জন্য পোশাক ও খাবারের আয়োজনও করেছিলেন। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পার্কটি পরিদর্শন করেছেন। এই পার্কটির ভিন্নধর্মী আয়োজনে সহযোগিতা করছে গ্লেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আদি বাংলা ও এশিয়ান টেক্সটাইল। মেলা চলাকালীন সময়ে অটিস্টিক শিশুদের জন্য নানা উপহারের ব্যবস্থা করেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। বিনামূল্যে অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করায় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো দুবার এই পার্কটিকে পুরস্কৃত করেছে। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনের প্রেরণার বিষয়ে মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, আমার পার্কটিতে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের পাশাপাশি ছিন্নমূল শিশুদের জন্য বিনোদন ফ্রি। শিশুরা বিভিন্ন রাইডে উঠতে পেরে যে নিষ্পাপ হাসি দেয় তখন আমার প্রাণ ভরে যায়। এ জন্যই আমার আয়োজন। যতদিন পারি আমি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের শিশুদের জন্য কাজ করে যাব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের  অটিস্টিকদের নিয়ে নানা কাজ আমাকে উৎসাহ প্রদান করেছে। তার কাজের প্রেরণায় আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে বিনোদনের সুযোগ করে দিয়েছে সারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড পার্ক।
রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় নারীসহ নিহত ২
রাজধানীর খিলক্ষেতে অজ্ঞাতপরিচয় নারী (৩০) ও দক্ষিণখান কাউলা এলাকায় নীলকান্তী রায় (২২) নামে দুজনই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে।   শুক্রবার সকালের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নীলকান্তী কাউলা এলাকায় বসবাস করতেন। আর নিহত নারী নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঢাকা রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, খিলক্ষেত কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন রেললাইনে একটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই নারীর। নিহত পরনে ছিল ছাপা রঙে একটি বোরকা।  এদিকে দক্ষিণখানে কালউলা ও আশকোনার মধ্যবর্তী রেললাইন কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেনের ধাক্কায় নীলকান্তী রায়ের মৃত্যু হয়। পরে নিহতের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে তার ভাই বকুল রায় মরদেহ শনাক্ত করেন।  ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত আরও জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসআই নজরুল ইসলাম।
রাজধানীর খিলক্ষেতে অজ্ঞাতপরিচয় নারী (৩০) ও দক্ষিণখান কাউলা এলাকায় নীলকান্তী রায় (২২) নামে দুজনই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে।
আরও দুদিন বাড়ল ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উদ্যোগে রাজধানীতে চলছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, জনসচেতনতা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ট্রাফিক শৃঙ্খলা এ কার্যক্রম আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।   ৩১ জানুয়ারি ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাড়ানোয় ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৬ দিনে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ চলাকালে মামলা হয়েছে ৯৫ হাজার ৮৩৫টি। জরিমানা করা হয়েছে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকা। মামলার মধ্যে রয়েছে বাস/মিনিবাসের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার ৩টি, ট্রাকের বিরুদ্ধে ৫৩১, কাভার্ডভ্যানের বিরুদ্ধে ২০ হাজার ৮২৬, সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ১২ হাজার ৪৭, ট্যাক্সিক্যাবের বিরুদ্ধে ২৪, কার/জিপ ৯ হাজার ৬৯৪, মাইক্রোবাসের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৪১৭, পিকআপের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ২৫, হিউম্যান হলারের বিরুদ্ধে ২৭৯, মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার ৭৫৩ এবং অন্যান্য গাড়ির বিরুদ্ধে ১ হাজার ৭৮১টি মামলা দেয়া হয়েছে।  এছাড়াও এ সময় ৪০৭টি গাড়ি ডাম্পিং এবং ১২ হাজার ৪২০টি গাড়ি রেকারিং হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উদ্যোগে রাজধানীতে চলছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, জনসচেতনতা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ট্রাফিক শৃঙ্খলা এ কার্যক্রম আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।
‘পত্রিকার একজন সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা’
গ্রেফতারকৃত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের চার সদস্য দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ওই চার সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১। তারা হলেন- মো. শাহরিয়ার নাফিস ওরফে আম্মার হোসেন (২০), রাসেল ওরফে সাজেদুল ইসলাম গিফারী (২৪), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম (২৪) ও মো. আব্দুল মালেক (৩১)। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব বলছে, আনসারুল্লাহর শীর্ষ নেতা জসিমউদ্দিন রহমানীকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে কারাগারে হামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে সংগঠনটি। শুক্রবার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত এক লেখায় বিয়ে সংক্রান্ত হাদিস নিয়ে মন্তব্যের জন্য ওই পত্রিকার সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করে আনসারুল্লাহর ওই চার সদস্য। তিনি জানান, ওই পত্রিকায় গত বছরের জুলাই মাসে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। তারা (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) মনে করে, ওই লেখার দায়দায়িত্ব সম্পাদকের ওপরই পড়ে। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের চার সদস্য দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
‘আনসারুল্লাহর চার সদস্য’ গ্রেফতার
রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শাহরিয়ার নাফিস ওরফে মো. আম্মার হোসেন (২০), মো. রাসেল ওরফে সাজেদুল ইসলাম গিফারী (২৪), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম (২৪) ও মো. আবদুল মালেক (৩১)। শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজারে মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিং র‍্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, কারাগারে থাকা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আমির মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীকে জামিনে মুক্ত করতে না পারলে কারাগারে হামলা করে তাকে বাইরে আনার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ ছাড়া বিবাহসংক্রান্ত হাদিস নিয়ে মন্তব্য করায় একটি জাতীয় পত্রিকার সম্পাদককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল তারা। ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তৎপরতার প্রথম খবর পাওয়া যায়। সেই সময় জসীমউদ্দীন রাহমানীকে ওই মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানো হয়।
রাজধানীর উত্তরায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু আজ
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শুরু। রক্তস্নাত একুশের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছিলাম বাংলায় বলা ও লেখার অধিকার। মাতৃভাষার চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯।  বইকে ঘিরে লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মাসব্যাপী মিলনমেলা বসছে বাংলা একাডেমি আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এদিন বিকাল ৩টায় গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  উদ্বোধনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে তার পাশে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিসরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি। আল-আরিশি ‘শেখ হাসিনা: যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়’ শীর্ষক গ্রন্থের লেখক। গ্রন্থটির অনুবাদ প্রকাশ করছে বাংলা একাডেমি। লেখকের উপস্থিতিতে বইটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হবে।  এদিকে অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মেলা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।  একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলার সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ, একাডেমির সচিব আবদুল মান্নান ইলিয়াস, গ্রন্থমেলার ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন ও মেলার পৃষ্ঠপোষক বিকাশ লিমিটেডের সিএমও মীর নওবত আলী।  সংবাদ সম্মেলনে গ্রন্থমেলার নতুন লোগো উপস্থাপন করেন মেলার স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর। মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় তিন লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে, যা গতবারের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট বেশি।  মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণটির নামকরণ করা হয়েছে ভাষাশহীদ বরকতের নামে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণকে চারটি চত্বরে ভাগ করে উৎসর্গ করা হয়েছে ভাষাশহীদ সালাম, রফিক, জব্বার ও শফিউরের নামে।  পাঁচ ভাষাশহীদের নামে উৎসর্গকৃত এবারের মেলার দুই প্রাঙ্গণের প্রতিটি চত্বরের সাজসজ্জায় থাকবে পৃথক রঙের ব্যবহার। তিনি জানান, একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৬২০টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে দুটি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে।  অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান পৃথক স্টল পেয়েছে। একক ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যারা বই প্রকাশ করেছেন তাদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের স্টলে। গ্রন্থমেলায় টিএসসি ও দোয়েল চত্বর উভয় দিক দিয়ে দুটো মূল প্রবেশপথ, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের ৬টি পথ থাকবে। গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা।  নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় নানা বিষয়ে গুণীজনদের নামাঙ্কিত পুরস্কার প্রদান করা হবে সমাপনী দিনে। জালাল আহমেদ বলেন, এবার প্রথমবারের মতো ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। যাতে প্রতিদিন পাঁচজন করে লেখক নিজেদের বই নিয়ে পাঠকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন।  একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বিজয় : বায়ান্ন থেকে একাত্তর (নবপর্যায়)’।  সেই সঙ্গে ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের যাত্রাও শুরু হবে এ মেলা থেকে। গ্রন্থমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।  ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি শুরু। রক্তস্নাত একুশের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছিলাম বাংলায় বলা ও লেখার অধিকার। মাতৃভাষার চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯।
জয়ে বিপিএল শেষ করল সিলেট সিক্সার্স
বিপিএল থেকে আগেই বিদায় নেয় সিলেট সিক্সার্স। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবর চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরকে গুডবাই জানায় সিলেট। শুক্রবার রাতে মিরপুর শেরেবাংলায় অনুষ্ঠিত বিপিএলের ৪০তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট চিটাগং ভাইকিংস। ২৯ রানে জয় পায় সিলেট। তবে গেরে গেলও সমস্যা নেই মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংসের। কারণ তারা আগেই বিপিএলের সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করে।  থেমে গেল মুশফিকের একার লড়াই সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস। এরপর একাই দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলীর সঙ্গে যোগ করেন ৪২ রান। ব্যক্তিগত ২৭ রানে অলক কাপালির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে জেসন রয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ইয়াসির আলী।  এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৩৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। ১৫ বলে ২৫ রান করে এবাদত হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮ রানে ফেরেন চিটাগংয়ের জিম্বাবুয়ান অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা।  ৯৬ রানে ৫ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর চিটাগংয়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটে ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল চটতলার দলটি। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৩০ বলে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ৫৭ রান।  ১৬তম ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। ৩২ বলে তিন চার ও সমান ছক্কায় ৪৮ রান করে ফেরেন মুশফিক। তার বিদায়ের পর মাত্র ৫ রান করে ফেরেন দাসুন শানাকা। ১২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে চিটাগং।  আবারও ইনজুরিতে তাসকিন আবারও ইনজুরিতে তাসকিন আহমেদ। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ পা মচকে যায় সিলেট সিক্সার্সের এই পেসারের। তার চোট কতোটা গুরুততর তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। তবে চোট গুরুততর হলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়ে যেতে পারেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার। চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংসের ১০ম ওভারে চোটা পান তাসকিন। অলক কাপালির বলে অং অফে ছক্কা হাঁকান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। উড়ে আসা বলটিকে তালুবন্দি করতে দ্রুত দৌড়াতে গিয়ে বাউন্ডারির ঠিক কাছে এসে পা মচকে যায় তাসকিনের। পায়ে প্রচন্ড ব্যথা পাওয়ায় মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর সতীর্থদের কাঁধে ভর করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তাসকিন।  শূন্য রানে আউট আশরাফুল নয় ম্যাচ পর একাদশে ফিরেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দেন আশরাফুল। তার বিদায়ের পর দুই রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস। সিলেটের সংগ্রহ ১৬৫/৫ রান আন্দ্রে ফ্লেচারের ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট সিক্সার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সিক্সার্সের ক্যারিবীয় ওপেনার ফ্লেচার। এছাড়া ৩৪ ও ৩২ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও সাব্বির রহমান রুম্মন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে হারদাস ভিলজোয়েন নেন ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ষষ্ঠ আসরের ৪০তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে সিলেট সিক্সার্স। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিলজোয়েনের গতির মুখে পড়ে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারায় সিলেট। এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ফ্লেচার। ২৫ বলে দুই চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করতেই নাইম হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৫১ রানের জুটি গড়েন ফ্লেচার। ১৯ বলে তিনটি ছক্কা এবং দুটি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করতেই ভিলজোয়েনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নওয়াজ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা আন্দ্রে ফ্লেচারকেও নিজের শেষ ওভারে ফেরান ভিলজোয়েন। তার আগে ৫৩ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রান করেন ফ্লেচার। সংক্ষিপ্ত স্কোর সিলেট সিক্সার্স: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (ফ্লেচার ৬৬, নওয়াজ ৩৪, সাব্বির ৩২; ভিলজোয়েন ৪/২৯)। চিটাগং ভাইকিংস: ১৮.৩ ওভারে ১৩৬/১০ (মুশফিক ৪৮, ইয়াসির ২৭, মোসাদ্দেক ২৫; এবাদত ৪/১৭)। ফল: সিলেট সিক্সার্স ২৯ রানে জয়ী।
বিপিএল থেকেআগেইবিদায় নেয় সিলেট সিক্সার্স। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবর চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরকেগুডবাই জানায়সিলেট।
থেমে গেল মুশফিকের একার লড়াই
সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস। এরপর একাই দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলীর সঙ্গে যোগ করেন ৪২ রান। ব্যক্তিগত ২৭ রানে অলক কাপালির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে জেসন রয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ইয়াসির আলী।  এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৩৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। ১৫ বলে ২৫ রান করে এবাদত হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮ রানে ফেরেন চিটাগংয়ের জিম্বাবুয়ান অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা।  ৯৬ রানে ৫ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর চিটাগংয়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটে ভর করেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল চটতলার দলটি। জয়ের জন্য শেষ দিকে ৩০ বলে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ৫৭ রান।  ১৬তম ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। ৩২ বলে তিন চার ও সমান ছক্কায় ৪৮ রান করে ফেরেন মুশফিক। তার বিদায়ের পর মাত্র ৫ রান করে ফেরেন দাসুন শানাকা। ১২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে চিটাগং।  আবারও ইনজুরিতে তাসকিন আবারও ইনজুরিতে তাসকিন আহমেদ। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ পা মচকে যায় সিলেট সিক্সার্সের এই পেসারের। তার চোট কতোটা গুরুততর তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। তবে চোট গুরুততর হলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়ে যেতে পারেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার। চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংসের ১০ম ওভারে চোটা পান তাসকিন। অলক কাপালির বলে অং অফে ছক্কা হাঁকান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। উড়ে আসা বলটিকে তালুবন্দি করতে দ্রুত দৌড়াতে গিয়ে বাউন্ডারির ঠিক কাছে এসে পা মচকে যায় তাসকিনের। পায়ে প্রচন্ড ব্যথা পাওয়ায় মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর সতীর্থদের কাঁধে ভর করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তাসকিন।  শূন্য রানে আউট আশরাফুল নয় ম্যাচ পর একাদশে ফিরেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দেন আশরাফুল। তার বিদায়ের পর দুই রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস। সিলেটের সংগ্রহ ১৬৫/৫ রান আন্দ্রে ফ্লেচারের ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট সিক্সার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সিক্সার্সের ক্যারিবীয় ওপেনার ফ্লেচার। এছাড়া ৩৪ ও ৩২ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও সাব্বির রহমান রুম্মন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে হারদাস ভিলজোয়েন নেন ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ষষ্ঠ আসরের ৪০তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে সিলেট সিক্সার্স। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিলজোয়েনের গতির মুখে পড়ে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারায় সিলেট। এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ফ্লেচার। ২৫ বলে দুই চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করতেই নাইম হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৫১ রানের জুটি গড়েন ফ্লেচার। ১৯ বলে তিনটি ছক্কা এবং দুটি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করতেই ভিলজোয়েনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নওয়াজ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা আন্দ্রে ফ্লেচারকেও নিজের শেষ ওভারে ফেরান ভিলজোয়েন। তার আগে ৫৩ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রান করেন ফ্লেচার। সংক্ষিপ্ত স্কোর সিলেট সিক্সার্স: ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (ফ্লেচার ৬৬, নওয়াজ ৩৪, সাব্বির ৩২; ভিলজোয়েন ৪/২৯)।
সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস। এরপর একাই দলকে গর্ত থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম।
আবারও ইনজুরিতে তাসকিন
আবারও ইনজুরিতে আক্রান্ত তাসকিন আহমেদ। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ পা মচকে যায় সিলেট সিক্সার্সের এই পেসারের। তার চোট কতোটা গুরুততর তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। তবে চোট গুরুততর হলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়ে যেতে পারেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার। চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংসের ১০ম ওভারে চোটা পান তাসকিন। অলক কাপালির বলে অং অফে ছক্কা হাঁকান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। উড়ে আসা বলটিকে তালুবন্দি করতে দ্রুত দৌড়াতে গিয়ে বাউন্ডারির ঠিক কাছে এসে পা মচকে যায় তাসকিনের। পায়ে প্রচন্ড ব্যথা পাওয়ায় মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর সতীর্থদের কাঁধে ভর করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন তাসকিন।  শূন্য রানে আউট আশরাফুল নয় ম্যাচ পর একাদশে ফিরেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দেন আশরাফুল। তার বিদায়ের পর দুই রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস। সিলেটের সংগ্রহ ১৬৫/৫ রান আন্দ্রে ফ্লেচারের ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট সিক্সার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সিক্সার্সের ক্যারিবীয় ওপেনার ফ্লেচার। এছাড়া ৩৪ ও ৩২ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও সাব্বির রহমান রুম্মন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে হারদাস ভিলজোয়েন নেন ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ষষ্ঠ আসরের ৪০তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে সিলেট সিক্সার্স। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিলজোয়েনের গতির মুখে পড়ে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারায় সিলেট। এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ফ্লেচার। ২৫ বলে দুই চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করতেই নাইম হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৫১ রানের জুটি গড়েন ফ্লেচার। ১৯ বলে তিনটি ছক্কা এবং দুটি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করতেই ভিলজোয়েনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নওয়াজ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা আন্দ্রে ফ্লেচারকেও নিজের শেষ ওভারে ফেরান ভিলজোয়েন। তার আগে ৫৩ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রান করেন ফ্লেচার। সিলেট সিক্সার্স: আন্দ্রে ফ্লেচার, আফিফ হোসেন, জেসন রয়, সাব্বির রহমান রুম্মন, অলক কাপালি, জাকির আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, ওয়েন পার্নেল, মোহাম্মদ নওয়াজ, এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। চিটাগং ভাইকিংস: মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, হার্ডাস ভিলজোয়েন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজা ও দাসুন শানাকা।
আবারও ইনজুরিতে আক্রান্ত তাসকিন আহমেদ। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ পামচকে যায় সিলেট সিক্সার্সের এই পেসারের। তার চোট কতোটা গুরুততর তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। তবে চোট গুরুততর হলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে বাদ পড়ে যেতে পারেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।
শূন্য রানে আউট আশরাফুল
নয় ম্যাচ পর একাদশে ফিরেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে দেন আশরাফুল। তার বিদায়ের পর দুই রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট।  সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস।  সিলেটের সংগ্রহ ১৬৫/৫ রান আন্দ্রে ফ্লেচারের ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট সিক্সার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সিক্সার্সের ক্যারিবীয় ওপেনার ফ্লেচার। এছাড়া ৩৪ ও ৩২ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও সাব্বির রহমান রুম্মন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে হারদাস ভিলজোয়েন নেন ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ষষ্ঠ আসরের ৪০তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে সিলেট সিক্সার্স। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিলজোয়েনের গতির মুখে পড়ে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারায় সিলেট। এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ফ্লেচার। ২৫ বলে দুই চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করতেই নাইম হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৫১ রানের জুটি গড়েন ফ্লেচার। ১৯ বলে তিনটি ছক্কা এবং দুটি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করতেই ভিলজোয়েনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নওয়াজ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা আন্দ্রে ফ্লেচারকেও নিজের শেষ ওভারে ফেরান ভিলজোয়েন। তার আগে ৫৩ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রান করেন ফ্লেচার। সিলেট সিক্সার্স: আন্দ্রে ফ্লেচার, আফিফ হোসেন, জেসন রয়, সাব্বির রহমান রুম্মন, অলক কাপালি, জাকির আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, ওয়েন পার্নেল, মোহাম্মদ নওয়াজ, এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। চিটাগং ভাইকিংস: মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, হার্ডাস ভিলজোয়েন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজা ও দাসুন শানাকা।
নয় ম্যাচ পর একাদশে ফিরেওসুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ আশরাফুল। রানের খাতা খোলার আগেইতাসকিন আহমেদের বলে ক্যাচ তুলেদেন আশরাফুল। তার বিদায়ের পর দুই রানের ব্যবধানে ফেরেন অন্য ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট।
চিটাগংকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল সিলেট
আন্দ্রে ফ্লেচারের ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট সিক্সার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সিক্সার্সের ক্যারিবীয় ওপেনার ফ্লেচার। এছাড়া ৩৪ ও ৩২ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও সাব্বির রহমান রুম্মন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে হারদাস ভিলজোয়েন নেন ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ষষ্ঠ আসরের ৪০তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে সিলেট সিক্সার্স। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিলজোয়েনের গতির মুখে পড়ে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারায় সিলেট।  এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ফ্লেচার। ২৫ বলে দুই চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করতেই নাইম হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান।  চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৫১ রানের জুটি গড়েন ফ্লেচার। ১৯ বলে তিনটি ছক্কা এবং দুটি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করতেই ভিলজোয়েনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নওয়াজ। দুর্দান্ত খেলতে থাকা আন্দ্রে ফ্লেচারকেও নিজের শেষ ওভারে ফেরান ভিলজোয়েন। তার আগে ৫৩ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রান করেন ফ্লেচার।  ১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে চিটাগং ভাইকিংস। কে এই ভিলজোয়েন? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলছেন হারদাস ভিলজোয়েন। তার গতির মুখে পড়ে ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় সিলেট সিক্সার্স।  কে এই ভিলজোয়েন? যে কিনা বিপিএলে খেলতে এসেই পরপর দুই উইকেট তুলে নিলেন। চিটাগং ভাইকিংসের এই বিদেশি ক্রিকেটারের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভাল প্রদেশের উইটব্যাংক এলাকায়। জাতীয় দলের হয়ে একটি মাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পান তিনি। তবে ঘরোয়া লিগ এবং ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন ২৯ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাইল এ্যাবটের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দলে অভিষেক হয় ভিলজোয়েনের। অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের উইকেট তুলে নেন। আর এই উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ২০তম বোলার হিসেবে প্রথম বলে উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন ভিলজোয়েন। ২০১৬ সালে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট লিগে অংশ নেন ভিলজোয়েন। কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করে হইচই ফেলে দেন। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলে যাওয়া এই আফ্রিকান পেস বোলারকে দলে নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। কিংসের কিং হতেই এসেছেন ভিলজোয়েন। সিলেট সিক্সার্স: আন্দ্রে ফ্লেচার, আফিফ হোসেন, জেসন রয়, সাব্বির রহমান রুম্মন, অলক কাপালি, জাকির আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, ওয়েন পার্নেল, মোহাম্মদ নওয়াজ, এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। চিটাগং ভাইকিংস: মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, হার্ডাস ভিলজোয়েন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজা ও দাসুন শানাকা।
আন্দ্রে ফ্লেচারের ফিফটিতেভর করে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট সিক্সার্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন সিক্সার্সের ক্যারিবীয় ওপেনার ফ্লেচার। এছাড়া ৩৪ ও ৩২ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও সাব্বির রহমান রুম্মন। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে নিজেরপ্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে হারদাস ভিলজোয়েন নেন ৪ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট।
কে এই ভিলজোয়েন?
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলছেন হারদাস ভিলজোয়েন। তার গতির মুখে পড়ে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারিয়েছে সিলেট সিক্সার্স। দলীয় ১৪ ও ৩৭ রানে ভিলজোয়েনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন ও তিনে ব্যাটিয়ে নামা জেসন রয়। কে এই ভিলজোয়েন? যে কিনা বিপিএলে খেলতে এসেই পরপর দুই উইকেট তুলে নিলেন। চিটাগং ভাইকিংসের এই বিদেশি ক্রিকেটারের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভাল প্রদেশের উইটব্যাংক এলাকায়। জাতীয় দলের হয়ে একটি মাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পান তিনি। তবে ঘরোয়া লিগ এবং ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন ২৯ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাইল এ্যাবটের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দলে অভিষেক হয় ভিলজোয়েনের। অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের উইকেট তুলে নেন। আর এই উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ২০তম বোলার হিসেবে প্রথম বলে উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন ভিলজোয়েন।  ২০১৬ সালে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট লিগে অংশ নেন ভিলজোয়েন। কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করে হইচই ফেলে দেন। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলে যাওয়া এই আফ্রিকান পেস বোলারকে দলে নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। কিংসের কিং হতেই এসেছেন ভিলজোয়েন।   সিলেট সিক্সার্স: আন্দ্রে ফ্লেচার, আফিফ হোসেন, জেসন রয়, সাব্বির রহমান রুম্মন, অলক কাপালি, জাকির আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, ওয়েন পার্নেল, মোহাম্মদ নওয়াজ, এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। চিটাগং ভাইকিংস: মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, হার্ডাস ভিলজোয়েন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজা ও দাসুন শানাকা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলছেন হারদাস ভিলজোয়েন। তার গতির মুখে পড়ে ৩৭ রানে দুই উইকেট হারিয়েছে সিলেট সিক্সার্স।দলীয় ১৪ ও ৩৭ রানে ভিলজোয়েনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন ও তিনে ব্যাটিয়ে নামা জেসন রয়।