title
stringlengths
10
148
text
stringlengths
14
34.6k
summary
stringlengths
1
7.08k
অবশেষে একাদশে জায়গা পেলেন আশরাফুল
বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং করে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিং করা আশরাফুল এরপর তিন আসরে খেলার সুযোগ পাননি। চলমান ষষ্ঠ আসরে আশরাফুলকে দলে নিয়ে চকম দেখায় চিটাগং ভাইকিংস।  ফিক্সিং জামেলা কাটিয়ে বিপিএলে ফিরে দুই ম্যাচ খেলে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। যে কারণ তৃতীয় ম্যাচ থেকেই বাদ পড়ে যান আশরাফুল। তার পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আলোচনায় চলে এসেছেন ইয়াসির আলী। মোটকথা আশরাফুলকে ছাড়াই মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংস নিশ্চিত করে সুপার ফোরে খেলা। শুক্রবার চিটাগংয়ের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে একাদশে ফেরানো হয়েছে আশরাফুলকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে শুক্রবার টস জিতে সিলেট সিক্সার্সকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।  মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  বিপিএলের চলমান ষষ্ঠ আসরে শুক্রবারের আগে ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করেছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংস।  অন্যদিকে আগের ১১ ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে সিলেট সিক্সার্স। গ্রুপ পর্বের নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে খেলছে সিলেট। সিলেট সিক্সার্স: আন্দ্রে ফ্লেচার, আফিফ হোসেন, জেসন রয়, সাব্বির রহমান রুম্মন, অলক কাপালি, জাকির আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, ওয়েন পার্নেল, মোহাম্মদ নওয়াজ, এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। চিটাগং ভাইকিংস: মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, হার্ডাস ভিলজোয়েন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজা ও দাসুন শানাকা।
বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং করে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ফিক্সিং করা আশরাফুল এরপর তিন আসরে খেলার সুযোগ পাননি। চলমানষষ্ঠ আসরে আশরাফুলকে দলে নিয়ে চকম দেখায় চিটাগং ভাইকিংস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে সিলেট
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে টস জিতে সিলেট সিক্সার্সকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।  মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিপিএলের চলমান ষষ্ঠ আসরে শুক্রবারের আগে ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংস। অন্যদিকে আগের ১১ ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় সিলেট সিক্সার্স। গ্রুপ পর্বে নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে খেলছে সিলেট। সিলেট সিক্সার্স: আন্দ্রে ফ্লেচার, আফিফ হোসেন, জেসন রয়, সাব্বির রহমান রুম্মন, অলক কাপালি, জাকির আলী অনিক, তাসকিন আহমেদ, ওয়েন পার্নেল, মোহাম্মদ নওয়াজ, এবাদত হোসেন ও নাবিল সামাদ। চিটাগং ভাইকিংস: মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, হার্ডাস ভিলজোয়েন, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, সিকান্দার রাজা ও দাসুন শানাকা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে টস জিতেসিলেট সিক্সার্সকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
বিপিএল: চিটাগং ভাইকিংস বনাম সিলেট সিক্সার্স (লাইভ)
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি চিটাগং ভাইকিংস ও সিলেট সিক্সার্স।  মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  বিপিএলের চলমান ষষ্ঠ আসরে শুক্রবারের আগে ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংস।  অন্যদিকে আগের ১১ ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় সিলেট সিক্সার্স। গ্রুপ পর্বে নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে খেলছে সিলেট। চিটাগং ভাইকিংস দেশি ক্রিকেটার: মুশফিকুর রহিম, সানজামুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ, নাইম হাসান, খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাঈম হাসান, রবিউল হক, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নিহাদুজ্জামান ও সাদমান ইসলাম বিদেশি ক্রিকেটার: লুক রনকি, সিকান্দার রাজা, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ শাহজাদ, রবার্ট ফ্রিলিঙ্ক, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও দাসুন শনাকা। সিলেট সিক্সার্স দেশি ক্রিকেটার: নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, আল-আমিন সিনিয়র, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, নাবিল সামাদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, অলক কাপালি, জাবির আলী ও মেহেদি হাসান রানা। বিদেশি ক্রিকেটার: ডেভিড ওয়ার্নার, সোহেল তানভির, সন্দিপ লামিচানে, ফ্যাবিয়ান অ্যালিয়েন, মোহাম্মদ ইরফান, গুলবাদিন নাইব, আন্দ্রে ফ্লেচার, প্যাট ব্রাউন, নিকোলাস পুরান চিটাগং ভাইকিংস বনাম সিলেট সিক্সার্সের মধ্যকার খেলাটি সরাসরি দেখতে নিচে ক্লিক করুন-
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪০তম ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি চিটাগং ভাইকিংস ও সিলেট সিক্সার্স।
রাজশাহীর আশা বাঁচিয়ে রাখল কুমিল্লা
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারাতে পারলেই প্লে-অফে চলে যেত ঢাকা ডায়নামাইটস। শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিতে পারল না সাকিব বাহিনী। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১ রানে হেরে গেল তারা। ডায়নামাইটসদের হারে সুপার ফোরে খেলার আশা বেঁচে রইল রাজশাহী কিংসের। ১২ ম্যাচে ৬টি করে জয়-পরাজয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রাজশাহী কিংস। কুমিল্লার বিপক্ষে হারায় ঢাকারও পয়েন্ট দাঁড়ালো ১১ ম্যাচে ১২। এতেই মিরাজ বাহিনীর আশা জিইয়ে থাকল। আশা থাকল রাজধানীর দলটিরও। আরও একটি ম্যাচ হাতে আছে তাদের। এজন্য আসছে ম্যাচে জিততেই হবে সাকিবদের। জয় ভিন্ন কিছু হলে শেষ চারের টিকিট পেয়ে যাবে বরেন্দ্রভূমির দল। আর শনিবারের ম্যাচে জয় পেলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও নেট রানরেটে এগিয়ে কোয়ালিফায়ারের ছাড়পত্র পাবে ঢাকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় ঢাকা। মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন উপুল থারাঙ্গা।পর পরই মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে ধাক্কা দেন মোশাররফ হোসেন। এর জের না কাটতেই রনি তালুকদারকে সরাসরি বোল্ড করে চাপে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে বোল্ড করে ফিরিয়ে চাপটা দ্বিগুণ করেন মেহেদি। পরে কাইরন পোলার্ডকে নিয়ে খেলা ধরেন সুনিল নারাইন।প্রথমে ধীর-লয়ে হাঁটেন তারা। ক্রিজে সেট হলে ছোটাতে শুরু করেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। এতেই ঘটে বিপত্তি। শহীদ আফ্রিদির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ২ চারে সংগ্রামী ২২ রান করেন এ ক্যারিবিয়ান। নারাইন ফিরলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কাইরন পোলার্ড। ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ঢাকা। কিন্তু মুহূর্তেই সেই স্বপ্নে বিশাল ধাক্কা দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরপর দুই বলে সেট ব্যাটসম্যান পোলার্ড ও নুরুল হাসানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এবার জয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয় কুমিল্লার। তবে ঢাকার ভরসা হয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। একপ্রান্তে ব্যাটসম্যানরা এলে-গেলেও তার স্টিম রোলার চলেছে। এর মাঝে রিয়াজের বলির পাঁঠা হন শুভাগত হোম। আর রুবেল হোসেন এলবিডব্লিউ করেন সাইফউদ্দিন। শেষদিকে রোবটের মতো চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি রাসেল। ২৩ বলে ২ চারের বিপরীতে ৩ ছক্কায় ৩০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এ ক্যারিবিয়ান। শেষ পর্যন্ত নখ কামড়ানো ম্যাচে ১ রানে জিতে যায় কুমিল্লা। এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় উঠল ইমরুল বাহিনী। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহকারে ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাইফ।  ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। সূচনাটা হয় দুরন্ত। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। ৩৮ রানে লুইসকে সরাসরি বোল্ড করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন। এরপরই পথ হারায় ভিক্টোরিয়ানসরা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন আনামুল হক। রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি। খানিক পরই শুভাগত হোমের বলে রুবেল হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। সাজঘরে ফেরত আসার আগে ড্যাশিং ওপেনার খেলেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের নান্দনিক ইনিংস। তামিমের বিদায়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এর মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ইনফর্ম শামসুর রহমান। সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে অধিনায়কোচিত কিছু করে দেখাতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। ঢাকা অধিনায়কের বলে আন্দ্রে রাসেলকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দলটি। এতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন শহীদ আফ্রিদি। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১ চারে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে নারাইনের শিকার হন তিনি। তারপর সেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গুঁড়িয়ে যায় তারা। আফ্রিদির পর রানআউটে কাটা পড়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। সেই রেশ না কাটতেই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন থিসারা পেরেরা। অল্পক্ষণ পর তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে রুবেলের বলে উপুল থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ। ধারাবাহিক বিরতিতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান। তার শিকারীও রুবেল, স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলেন মেহেদী। মূলত শেষদিকে তার ২০ ও রিয়াজের ১৬ রানে ১২৭ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে রুবেল একাই নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরে তাকে সমর্থন জোগান নারাইন ও সাকিব।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারাতে পারলেই প্লে-অফে চলে যেত ঢাকা ডায়নামাইটস। শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিতে পারল না সাকিব বাহিনী। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১ রানে হেরে গেল তারা। ডায়নামাইটসদের হারে সুপার ফোরে খেলার আশা বেঁচে রইল রাজশাহী কিংসের।
জয় দেখছে কুমিল্লা
৫ উইকেটে ৮৯ রান তুলে ফেলেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। স্বাভাবিকভাবে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সাকিব বাহিনী। কিন্তু মুহূর্তেই সেই স্বপ্নে বিশাল ধাক্কা দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরপর দুই বলে সেট ব্যাটসম্যান পোলার্ড ও নুরুল হাসানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এবার জয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয় কুমিল্লার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় ঢাকা। মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন উপুল থারাঙ্গা।পর পরই মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে ধাক্কা দেন মোশাররফ হোসেন। এর জের না কাটতেই রনি তালুকদারকে সরাসরি বোল্ড করে চাপে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানকে বোল্ড করে ফিরিয়ে চাপটা দ্বিগুণ করেন মেহেদি। পরে কাইরন পোলার্ডকে নিয়ে খেলা ধরেন সুনিল নারাইন।প্রথমে ধীর-লয়ে হাঁটেন তারা। ক্রিজে সেট হলে ছোটাতে শুরু করেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। এতেই ঘটে বিপত্তি। শহীদ আফ্রিদির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ২ চারে সংগ্রামী ২২ রান করেন এ ক্যারিবিয়ান। নারাইন ফিরলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কাইরন পোলার্ড। ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ঢাকা। কিন্তু মুহূর্তেই সেই স্বপ্নে বিশাল ধাক্কা দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরপর দুই বলে সেট ব্যাটসম্যান পোলার্ড ও নুরুল হাসানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এবার জয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয় কুমিল্লার। ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। সূচনাটা হয় দুরন্ত। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। ৩৮ রানে লুইসকে সরাসরি বোল্ড করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন। এরপরই পথ হারায় ভিক্টোরিয়ানসরা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন আনামুল হক। রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি। খানিক পরই শুভাগত হোমের বলে রুবেল হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। সাজঘরে ফেরত আসার আগে ড্যাশিং ওপেনার খেলেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের নান্দনিক ইনিংস। তামিমের বিদায়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এর মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ইনফর্ম শামসুর রহমান। সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে অধিনায়কোচিত কিছু করে দেখাতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। ঢাকা অধিনায়কের বলে আন্দ্রে রাসেলকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দলটি। এতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন শহীদ আফ্রিদি। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১ চারে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে নারাইনের শিকার হন তিনি। তারপর সেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গুঁড়িয়ে যায় তারা। আফ্রিদির পর রানআউটে কাটা পড়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। সেই রেশ না কাটতেই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন থিসারা পেরেরা। অল্পক্ষণ পর তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে রুবেলের বলে উপুল থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ। ধারাবাহিক বিরতিতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান। তার শিকারীও রুবেল, স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলেন মেহেদী। মূলত শেষদিকে তার ২০ ও রিয়াজের ১৬ রানে ১২৭ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে রুবেল একাই নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরে তাকে সমর্থন জোগান নারাইন ও সাকিব।
৫ উইকেটে ৮৯ রান তুলে ফেলেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। স্বাভাবিকভাবে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সাকিব বাহিনী। কিন্তু মুহূর্তেই সেই স্বপ্নে বিশাল ধাক্কা দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরপর দুই বলে সেট ব্যাটসম্যান পোলার্ড ও নুরুল হাসানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এবার জয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয় কুমিল্লার।
সাকিব-কুপারকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়বেন তাসকিন!
সময়টা বড্ড বাজে যাচ্ছিল তাসকিন আহমেদের। পেরে উঠছিলেন না চোটের সঙ্গে যুদ্ধ করে। লড়াই ছিল ফর্মের সঙ্গেও। স্বাভাবিকভাবেই বিপিএল শুরুর আগে তাকে নিয়ে ভাবার লোক ছিল নিতান্ত কম। অথচ সেই তাসকিনই বাজিমাত করছেন। এবারের আসরে তিনিই সবচেয়ে আলোচিত বোলার। ষষ্ঠ আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। ১১ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে অনন্য মাইলফলকের সামনে তাসকিন। আর মাত্র ২টি উইকেট পেলেই বিপিএল ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড গড়বেন তিনি। ইতিমধ্যে সিলেট সিক্সার্সের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে। শুক্রবার গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হবে ‘চায়ের দেশ’। দলীয়ভাবে এ ম্যাচে কিছু পাওয়ার নেই তাদের। তবে ব্যক্তিগত অর্জনে অনেক বড় প্রাপ্তির হাতছানি পেস ভরসার সামনে। দুজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠাতে পারলেই বিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটের নতুন রেকর্ড গড়বেন তিনি। রেকর্ডটা দখলে রয়েছে দুজনের-সাকিব আল হাসান ও কেভিন কুপারের। ২০১৪-১৫ আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে ৯ ম্যাচে ২২ উইকেটে নিয়ে ইতিহাস গড়েন কুপার। গেল আসরে ১৫ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে তাতে ভাগ বসান সাকিব। এবার তা ভেঙে দেয়ার দোরগোড়ায় তাসকিন। ১১ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে তালিকার তিনে আছেন তিনি। সন্ধ্যার ম্যাচে আর একটি পেলে দুজনকে ধরে ফেলবেন, আরেকটি পেলে ছাড়িয়ে যাবেন। এক আসরে ২১ উইকেট আছে আবু হায়দার রনি ও ডোয়াইন ব্র্যাভোরও। ২০১৫-১৬ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে এ উইকেট সংগ্রহ করেন রনি। আর ২০১৫-১৬ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে সমান সংখ্যক উইকেট সংগ্রহ করেন ব্র্যাভো। তবে শেষের দুজনের চেয়ে ম্যাচ কম খেলায় তিনে আছেন তাসকিন।
সময়টা বড্ড বাজে যাচ্ছিল তাসকিন আহমেদের। পেরে উঠছিলেন না চোটের সঙ্গে যুদ্ধ করে। লড়াই ছিল ফর্মের সঙ্গেও। স্বাভাবিকভাবেই বিপিএল শুরুর আগে তাকে নিয়ে ভাবার লোক ছিল নিতান্ত কম। অথচ সেই তাসকিনই বাজিমাত করছেন। এবারের আসরে তিনিই সবচেয়ে আলোচিত বোলার। ষষ্ঠ আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
বিপর্যয়ে ঢাকা
১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ৪৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলেছে তারা। খাদ থেকে দলকে তুলতে লড়ছেন সুনিল নারাইন ও কাইরন পোলার্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভূমিকাতেই হোঁচট খায় ঢাকা। মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন উপুল থারাঙ্গা।পর পরই মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে ধাক্কা দেন মোশাররফ হোসেন। এর জের না কাটতেই রনি তালুকদারকে সরাসরি বোল্ড করে চাপে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এর মধ্যে সাকিব আল হাসানের স্ট্যাম্প উড়িয়ে চাপটা দ্বিগুণ করেন মেহেদি। ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। সূচনাটা হয় দুরন্ত। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। ৩৮ রানে লুইসকে সরাসরি বোল্ড করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন। এরপরই পথ হারায় ভিক্টোরিয়ানসরা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন আনামুল হক। রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি। খানিক পরই শুভাগত হোমের বলে রুবেল হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। সাজঘরে ফেরত আসার আগে ড্যাশিং ওপেনার খেলেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের নান্দনিক ইনিংস। তামিমের বিদায়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এর মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ইনফর্ম শামসুর রহমান। সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে অধিনায়কোচিত কিছু করে দেখাতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। ঢাকা অধিনায়কের বলে আন্দ্রে রাসেলকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দলটি। এতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন শহীদ আফ্রিদি। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১ চারে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে নারাইনের শিকার হন তিনি। তারপর সেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গুঁড়িয়ে যায় তারা। আফ্রিদির পর রানআউটে কাটা পড়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। সেই রেশ না কাটতেই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন থিসারা পেরেরা। অল্পক্ষণ পর তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে রুবেলের বলে উপুল থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ। ধারাবাহিক বিরতিতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান। তার শিকারীও রুবেল, স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলেন মেহেদী। মূলত শেষদিকে তার ২০ ও রিয়াজের ১৬ রানে ১২৭ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে রুবেল একাই নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরে তাকে সমর্থন জোগান নারাইন ও সাকিব।
১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ৪৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলেছে তারা। খাদ থেকে দলকে তুলতে লড়ছেন সুনিল নারাইন ও কাইরন পোলার্ড।
জিততে ঢাকার দরকার ১২৮
সূচনাটা দারুণ পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তবে তাতে সুর বাঁধতে পারলেন না বাকি ব্যাটসম্যানরা। অযাচিত শট খেলে সবাই এলেন আর গেলেন। পাল্লা দিয়ে একে একে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন টপঅর্ডার, মিডলঅর্ডার ও লেজের ব্যাটসম্যানরা। সংগ্রহটাও হলো সেরকম, ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল কুমিল্লা। ফলে জয়ের জন্য ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ালো ১২৮। এ ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফে চলে যাবে ডায়নামাইটসরা। ১২ ম্যাচে ৬টি করে জয়-পরাজয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রাজশাহী কিংস। কুমিল্লার বিপক্ষে জিতলে ঢাকার পয়েন্ট হবে ১১ ম্যাচে ১২। এছাড়া কিংসদের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে থাকায় সুপার ফোরে উঠে যাবে সাকিবরা। ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। সূচনাটা হয় দুরন্ত। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। ৩৮ রানে লুইসকে সরাসরি বোল্ড করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন। এরপরই পথ হারায় ভিক্টোরিয়ানসরা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন আনামুল হক। রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি। খানিক পরই শুভাগত হোমের বলে রুবেল হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। সাজঘরে ফেরত আসার আগে ড্যাশিং ওপেনার খেলেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের নান্দনিক ইনিংস। তামিমের বিদায়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এর মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ইনফর্ম শামসুর রহমান। সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে অধিনায়কোচিত কিছু করে দেখাতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। ঢাকা অধিনায়কের বলে আন্দ্রে রাসেলকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় দলটি। এতে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের আভাস দেন শহীদ আফ্রিদি। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ১ চারে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে নারাইনের শিকার হন তিনি। তারপর সেই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গুঁড়িয়ে যায় তারা। আফ্রিদির পর রানআউটে কাটা পড়ে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। সেই রেশ না কাটতেই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন থিসারা পেরেরা। অল্পক্ষণ পর তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে রুবেলের বলে উপুল থারাঙ্গাকে ক্যাচ দিয়ে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ। ধারাবাহিক বিরতিতে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী হাসান। তার শিকারীও রুবেল, স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলেন মেহেদী। মূলত শেষদিকে তার ২০ ও রিয়াজের ১৬ রানে ১২৭ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। ঢাকার হয়ে রুবেল একাই নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরে তাকে সমর্থন জোগান নারাইন ও সাকিব।
সূচনাটা দারুণ পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। তবে তাতে সুর বাঁধতে পারলেন না বাকি ব্যাটসম্যানরা। অযাচিত শট খেলে সবাই এলেন আর গেলেন। পাল্লা দিয়ে একে একে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন টপঅর্ডার, মিডলঅর্ডার ও লেজের ব্যাটসম্যানরা। সংগ্রহটাও হলো সেরকম, ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল কুমিল্লা। ফলে জয়ের জন্য ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ালো ১২৮।
উড়ন্ত সূচনার পর ছন্দপতন কুমিল্লার
ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল দলটি। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। ১২ ওভার শেষে ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তারা। ধ্বংস্তূপে লড়ছেন শহীদ আফ্রিদি ও থিসারা পেরেরা। তবে সূচনাটা হয় দুরন্ত। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। ৩৮ রানে লুইসকে সরাসরি বোল্ড করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন। এরপর থেকেই পথহারা কুমিল্লা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন আনামুল হক। রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি। খানিক পরই শুভাগত হোমের বলে রুবেল হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। সাজঘরে ফেরত আসার আগে ড্যাশিং ওপেনার খেলেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের নান্দনিক ইনিংস। এতে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এর মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ইনফর্ম শামসুর রহমান। সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে অধিনায়কোচিত কিছু করে দেখাতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। ঢাকা অধিনায়কের বলে আন্দ্রে রাসেলকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক।
ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল দলটি। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। ১২ ওভার শেষে ৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে তারা। ধ্বংস্তূপে লড়ছেন শহীদ আফ্রিদি ও থিসারা পেরেরা।
মাশরাফির মধ্যস্থতায় ডি ভিলিয়ার্স থেকে টিপস নিলেন তামিম
বিপিএল খেলতে এখন বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী এবং ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাটিং নিয়ে তার সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম ইকবাল। টাইগারদের জাতীয় ওয়ানডে দল ও রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার মধ্যস্থতায় প্রোটিয়া কিংবদন্তি ব্যাটারের কাছ থেকে টিপস নিয়েছেন তিনি। টিপস নিতে গেলে তামিমকে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, তোমার খেলা আমি দেখেছি। একদম নিখুঁত ব্যাটিং কর। তুমি আবার আমার সঙ্গে কী কথা বলবে? তুমি তো আমার চেয়েও ভালো ব্যাটসম্যান। গেল কয়েক বছরের পরিসংখ্যান কিন্তু তা-ই বলে। কেবল তামিমকে একটিই পরামর্শ দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। তা হলো ব্যাটিংয়ের সময় স্নায়ুরচাপ প্রকাশ না করা। বোলারদের তা বুঝতে না দেয়া।   আর ১০ জন ব্যাটসম্যানের মতো ডি ভিলিয়ার্সও নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে গেলে নড়বড়ে অবস্থায় থাকেন। তবে সেটা বোলারকে টের পেতে দেন না। একই পথ অনুসরণ করতে বলেছেন তামিমকেও। মাশরাফির ভাষ্য, ডি ভিলিয়ার্স তামিমকে বলেছে, তুমি উইকেটে মানসিকভাবে শক্ত থাকবে। প্রথমে ক্রিজে আমিও আর সবার মতো নার্ভাস থাকি। তবে বোলারের সামনে তা প্রকাশ করি না। নিজেকে শক্ত রাখতে হবে। নার্ভাসনেস যেন কোনোভাবেই কাজ না করে। বেশি চিন্তা না করে মানসিকভাবে দৃঢ় থেকে নিজের খেলাটা খেলতে হবে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হওয়ার পরও তামিমের শেখার আগ্রহে মহাখুশি মাশরাফি। তার বিশ্বাস, স্কিল না হলেও মানসিক দিক দিয়ে ডি ভিলিয়ার্সের মতো সুপারস্টারদের কাছ থেকে বাংলাদেশিদের শেখার অনেক কিছু আছে।
বিপিএল খেলতে এখন বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী এবং ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাটিং নিয়ে তার সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম ইকবাল। টাইগারদের জাতীয় ওয়ানডে দল ও রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার মধ্যস্থতায় প্রোটিয়া কিংবদন্তি ব্যাটারের কাছ থেকে টিপস নিয়েছেন তিনি।
কুমিল্লা-ঢাকার খেলা দেখুন সরাসরি
উত্তেজনাটা শেষদিন পর্যন্ত থাকবে নাকি শুক্রবারই নির্ধারিত হয়ে যাবে প্লে-অফের চার দল? এমন প্রশ্ন সামনে রেখে শুরু হলো তৃতীয় দফার ঢাকা পর্ব। এখন বিপিএলে দেখার বিষয় একটিই। শীর্ষ চারের চার নম্বর দল হিসেবে কোয়ালিফায়ারের ছাড়পত্র পাচ্ছে কারা? সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস নাকি মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস? উত্তর পেতে শনিবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাকিয়ে থাকতে হতে পারে। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ঢাকা জিতে গেলে শেষ পর্যন্ত হয়তো আর আকর্ষণ থাকবে না। তুলনামূলক ভালো নেট রানরেটের কারণে রাজশাহীকে পেছনে ফেলে সুপার ফোরে চলে যাবে রাজধানীর দলটি।  সেই লক্ষ্যে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছেন ডায়নামাইটসদের অধিনায়ক সাকিব। ফলে আগে ব্যাটিং করছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা। দুই দলের খেলা দেখুন সরাসরি। ইতিমধ্যে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। ফলে অনেকটা নির্ভার হয়ে মাঠে নামছে ভিক্টোরিয়ানসরা। তবে নিজেদের সামনের দুই ম্যাচের একটিতে জিততেই হবে ঢাকাকে। স্বাভাবিকভাবে স্নায়ুচাপটা থাকছে সাকিবদের ওপরই।
উত্তেজনাটা শেষদিন পর্যন্ত থাকবে নাকি শুক্রবারই নির্ধারিত হয়ে যাবে প্লে-অফের চার দল? এমন প্রশ্ন সামনে রেখে শুরু হলো তৃতীয় দফার ঢাকা পর্ব। এখন বিপিএলে দেখার বিষয় একটিই। শীর্ষ চারের চার নম্বর দল হিসেবে কোয়ালিফায়ারের ছাড়পত্র পাচ্ছে কারা? সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস নাকি মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস?
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত সাকিবের
উত্তেজনাটা শেষদিন পর্যন্ত থাকবে নাকি শুক্রবারই নির্ধারিত হয়ে যাবে প্লে-অফের চার দল? এমন প্রশ্ন সামনে রেখে শুরু হলো তৃতীয় দফার ঢাকা পর্ব। এখন বিপিএলে দেখার বিষয় একটিই। শীর্ষ চারের চার নম্বর দল হিসেবে কোয়ালিফায়ারের টিকিট পাচ্ছে কারা? সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস নাকি মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস? উত্তর পেতে শনিবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তাকিয়ে থাকতে হতে পারে। তবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে জিতে গেলে শেষ পর্যন্ত হয়তো আর আকর্ষণ থাকবে না। তুলনামূলক ভালো নেট রানরেটের কারণে রাজশাহীকে পেছনে ফেলে সুপার ফোরে চলে যাবে রাজধানীর দলটি।  সেই লক্ষ্যে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছেন ডায়নামাইটসদের অধিনায়ক সাকিব। ফলে প্রথমে ব্যাটিং করছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা। ইতিমধ্যে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। ফলে অনেকটা নির্ভার হয়ে মাঠে নামছে ভিক্টোরিয়ানসরা। তবে নিজেদের সামনের দুই ম্যাচের একটিতে জিততেই হবে ঢাকাকে। স্বাভাবিকভাবে স্নায়ুচাপটা থাকছে সাকিবদের ওপরই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস একাদশ: তামিম ইকবাল, এভিন লুইস, শামসুর রহমান শুভ, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মেহেদি হাসান ও ওয়াহাব রিয়াজ। ঢাকা ডায়নামাইটস একাদশ: উপুল থারাঙ্গা, সুনিল নারাইন, রনি তালুকদার, সাকিব আল হাসান, মিজানুর রহমান, নুরুল হাসান সোহান, আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, শুভাগত হোম, রুবেল হোসেন ও শাহাদাত হোসেন।
উত্তেজনাটা শেষদিন পর্যন্ত থাকবে নাকি শুক্রবারই নির্ধারিত হয়ে যাবে প্লে-অফের চার দল? এমন প্রশ্ন সামনে রেখে শুরু হলো তৃতীয় দফার ঢাকা পর্ব। এখন বিপিএলে দেখার বিষয় একটিই। শীর্ষ চারের চার নম্বর দল হিসেবে কোয়ালিফায়ারের টিকিট পাচ্ছে কারা? সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস নাকি মেহেদি হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস?
রংপুর শিবিরে আরেকটি দুঃসংবাদ
কাঁধের ইনজুরির কারণে বিপিএল শেষ না করেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড হার্ডহিটার আলেক্স হেলস। এবার রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছিলেন তিনি। গেল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে কাঁধে ব্যথা পান হেলস। পরে জানা যায়, তার ইনজুরি গুরুতর। তাই পুরো আসর শেষ না করেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন তিনি। রংপুর কোচ টম মুডি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা খবরটি পেয়েছি। কাঁধের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে ফিরে যাচ্ছে সে।  গেল ম্যাচে বাঁ কাঁধে ব্যথা পেয়েছিল ও। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট এ কোচ জানান, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) অনুরোধ করেছে, হেলসকে দেশে পাঠিয়ে দিতে এবং সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। দেশে ফিরলে তার কাঁধের এমআরআই করানো হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওর টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে দলে নিজের গুরুত্ব বুঝিয়েছিল এ ওপেনার। তবে আমাদের বেশ ক’জন মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। যারা টপঅর্ডারের অভাব পূরণ করতে পারবে। বিপিএলের এবারের আসরে রাইডার্সদের জার্সি গায়ে ৮ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরিতে ১৬৭ স্ট্রাইক রেটে ৩০৪ রান করেছেন হেলস। দারুণ ছন্দ নিয়ে ইংল্যান্ড ফিরে যাচ্ছেন তিনি। লিগপর্বের খেলা শেষে দেশে ফিরে যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সও। তার ফিরে যাওয়ার দুঃসংবাদের পর হেলসের বিদায় বড় ধাক্কাই বটে রংপুরের জন্য।
কাঁধের ইনজুরির কারণে বিপিএল শেষ না করেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড হার্ডহিটার আলেক্স হেলস। এবার রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছিলেন তিনি।
‘বাদ পড়ে আমার জন্য ভালো হয়েছে’
ওয়ানডে আর টেস্ট দলে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে যিনি অনেকটাই ‘অটোমেটিক চয়েস’, সেই মেহেদী হাসান মিরাজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ১৭ জনের প্রস্তুতি ক্যাম্পেও জায়গা পাননি। শুধু এবারই নয়, গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরেও টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়তে হয়েছে মিরাজকে। অথচ সেই সিরিজের আগে তিনি ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের ‘সহঅধিনায়ক’।  মিরাজের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা শেখ মাহেদী ২০ ওভারের ক্রিকেটে দলের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছেন। পাওয়ার প্লে কিংবা ইনিংসের মাঝে তার কার্যকরী অফ স্পিন আর যে কোনো পজিশনে ঝড় তোলার সহজাত বৈশিষ্ট্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক হতে সহায়তা করেছে শেখ মেহেদীকে। বাংলাদেশ দল এখন পেয়ে গেছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকেও।  তিনিও ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে তুলতে পারেন ঝড়। আর অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান তো আছেনই। দলে এত স্পিনিং অলরাউন্ডার সতীর্থদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিরাজ একটু নয়, বেশ পিছিয়ে পড়েছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজই শুধু নয়, বাস্তবতা বলছে— মিরাজের সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দরজাও হয়তো বন্ধ হয়ে গেছে। টেস্ট আর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলে অপরিহার্য মিরাজ কেন ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলেন না? এখানে অবশ্য নিজের দায় দেখেন না মিরাজ।  উল্টো যুক্তি দেখিয়ে বললেন, চ্যালেঞ্জ আর পারফর্ম করা আলাদা বিষয়। টি-টোয়েন্টিতে আমি বাদ পড়ার আগেও পারফর্ম করেছি। পরিসংখ্যান দেখুন, বাদ পড়ার পাঁচ ম্যাচ আগেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছি (২০২৩ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে)। আগামী দুই মাসে বাংলাদেশের ব্যস্ততা শুধুই ২০ ওভারের ক্রিকেটে। যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে ব্রাত্য, মিরাজ পেয়ে যাচ্ছেন লম্বা একটা বিরতি। তবে এই বিরতিটা দেখছেন ইতিবাচক দৃষ্টিতেই, আমার জন্য ভালো হয়েছে। ভালো একটা বিশ্রাম পেলাম। ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য আরও ভালোভাবে তৈরি হতে পারব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে না পারলে মন খারাপ হবে না? ‘সমস্যা নেই’— মিরাজ পাশ কাটিয়ে যেতে চান। একটু থেমে আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করেন, ‘সমস্যা নেই। আমি এটা নিয়ে কিছুই ভাবছি না। আমার জন্য ভালো হয়েছে। এই যে এত মাত্রায় খেলা। খেলতে খেলতে মাথা হ্যাং হয়ে যায়! ভালো একটা বিশ্রাম পেলাম। ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য আরও ভালোভাবে তৈরি হতে পারব।’ বাংলাদেশ দলের পরের টেস্ট-ওয়ানডে সিরিজ সেই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ব্যস্ততা শেষে কীভাবে বিরতি কাজে লাগাতে চান, সেটি নিয়ে মিরাজ বললেন, ‘ফিটনেস ও স্কিল নিয়ে কাজ করব। এ রকম বিরতি না পেলে স্কিলে উন্নতি আনতে পারব না।’  আলাপচারিতা শেষের আগে মিরাজ মুখে হাসি এঁকে এটিও বলে রাখলেন, ‘বেশি দিন দেরি নেই, আপনারাই নিউজ করবেন, মিরাজ আবারও ফিরেছে!’
ওয়ানডে আর টেস্ট দলে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে যিনি অনেকটাই ‘অটোমেটিক চয়েস’, সেই মেহেদী হাসান মিরাজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ১৭ জনের প্রস্তুতি ক্যাম্পেও জায়গা পাননি।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে পাকিস্তানের জয়
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাবর আজমের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর শাহিন আফ্রিদির অসাধারণ বোলিংয়ে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।  পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে শনিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-২-এ ড্র করেছে পাকিস্তান।  এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান তুলতে সাহায্য করে বাবরের ফিফটি। এরপর নিউজিল্যান্ডকে ১৯.২ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট করতে ৪ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি।  ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে সিয়াম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলের রান তখন মাত্র ৮। বাবর আজম এরপর জুটি গড়েন উসমান খানের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাবরের সঙ্গে ৭৩ রান তুলে আউট হয়ে ফেরেন তিনিও। আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩২ রান করেছেন উসমান। বাবর এরপর জুটি গড়েন ফখর জামানের সঙ্গে। বাবর-ফখরের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪২ রান। জুটি ভাঙে বেন সিয়ার্সের বলে বাবর বোল্ড হয়ে ফিরলে। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৬৯ রান করেন বাবর। ফখর জামান আউট হয়েছেন ৩৩ বলে ৪৩ রান করে। এরপর বড় আর কোনো জুটি হয়নি। তবুও পাকিস্তান ১৭৮ রান তুলতে পারে শাদাব খানের ৬ বলে অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংসে। রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। টম ব্ল্যান্ডেলকে তুলে নেন আফ্রিদি। দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য টিম সেইফার্ট ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ৪৫ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসটাকে পথে রাখেন। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় শেষ পর্যন্ত আর সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি কিউইদের। সেইফার্ট ৩৩ বলে ৫২ রান করে আউট হয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৮ রান করেছেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা জশ ক্লার্কসন।  আফ্রিদি ৪ উইকেট নিতে ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩০ রান। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন তিনিই। সিরিজ সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাবর আজমের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর শাহিন আফ্রিদির অসাধারণ বোলিংয়ে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
বাবর আজমের ফিফটি, সিরিজ বাঁচানোর শঙ্কায় পাকিস্তান
বাবর আজমের ফিফটি আর ফখর জামানের ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৮ রান। সিরিজ বাঁচিয়ে ড্র করতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে পাকিস্তানকে। এজন্য দুর্দান্ত বোলিংয়ে করতে হবে শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির ও শাদাব খানদের।  লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি ৪৪ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় এই রান করেন। এছাড়া ৩৩ বলে চরটি চার আর এক ছক্কায় ৪৩ রান করেন ফখর জামান। ২৪ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩১ রান করেন উসমান খান। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে সমান ব্যবধানে হেরে যায় বাবর আজমরা।  চতুর্থ ম্যাচে ১৭৯ রানের টার্গেট তাড়ায় তীরে গিয়ে তরী ডুবায় পাকিস্তান। মাত্র ৪ রানের জন্য হেরে যায় বাবর আজমরা।
বাবর আজমের ফিফটি আরফখর জামানের ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫উইকেটে ১৭৮ রান। সিরিজ বাঁচিয়ে ড্র করতে হলে এই ম্যাচে জিততেই হবে পাকিস্তানকে। এজন্য দুর্দান্তবোলিংয়ে করতে হবে শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির ও শাদাব খানদের।
আম্পায়ারিংয়ে নারী, খেলতে আপত্তি তারকাদের
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে নারী আম্পায়ারদের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব রাখায় খেলতে আপত্তি জানান দুই দলের ক্রিকেটাররা। এমনটি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। বৃহস্পতিবার প্রাইম ব্যাংক এবং মোহামেডানের সুপার লিগের ম্যাচে মনিরুজ্জামানের সঙ্গে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। নারী আম্পায়ারকে দেখে এদিন মাঠেই ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করেন দুই দলের ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালরা। যে কারণে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। আম্পায়ার পরিবর্তনের জন্য সিসিডিএমের চেয়ারম্যানকে ফোন করা হয়।    আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দুই দল এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু পরে মেনে নিয়েছে। জেসি একজন আইসিসির অফিশিয়াল আন্তর্জাতিক আম্পায়ার। তাকে যেহেতু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, অবশ্যই মূল্যায়ন করে দেয়া হয়েছে। এখন এটা না মানলে তো আমরা বৈষম্য করছি।’   এক প্রশ্নের জবাবে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মুশফিকও তো জানে নিয়মটা কী। মুশফিক দীর্ঘদিন ধরে খেলছে। সে জানে এখানে করণীয় কী। এটা নিয়ে যে আম্পায়ারদের দোষারোপ কেন করল সেটা বোধগম্য নয়। আম্পায়ার কিন্তু নিয়মের বাইরে যায়নি। আম্পায়ার রনিকে জিজ্ঞেস করেছে আউট কিনা। খেলোয়াড়দের আসলে সম্মানটা বাড়াতে হবে।’   তিনি আরও বলেন, ‘আম্পায়াররা হয়তো ভুল করছে কিন্তু এটা ইচ্ছাকৃত না। আম্পায়ারের কাছে প্লেয়ার বলবে, আউট কি আউট না। এখানে আম্পায়ারের দোষটা কী। প্লেয়ার যদি আম্পায়ারকে সত্যি না বলে এখানে তার কী করার। এখানে আম্পায়ারকে দোষ দেয়ার কিছু নেই।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচেনারীআম্পায়ারদের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব রাখায় খেলতে আপত্তি জানান দুই দলের ক্রিকেটাররা। এমনটি জানিয়েছেন,বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
ঘরের মাঠেই নাজেহাল অবস্থান পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। নিউজিল্যান্ডের তারুণ্য নির্ভর দলের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই খেলায় জিতে ২-১  এগিয়ে রয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।  আজ সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচ। আজ নিউজিল্যান্ড জয় পেলে সিরিজ নিশ্চিত হবে। তবে স্বাগতিক পাকিস্তান যদি জয় পায় তাহলে সিরিজে ড্র হবে।  সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে সমান ব্যবধানে হেরে যায় বাবর আজমরা।  চতুর্থ ম্যাচে ১৭৯ রানের টার্গেট তাড়ায় তীরে গিয়ে তরী ডুবায় পাকিস্তান। মাত্র ৪ রানের জন্য হেরে যায় বাবর আজমরা।
ঘরের মাঠেই নাজেহাল অবস্থান পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। নিউজিল্যান্ডের তারুণ্য নির্ভর দলের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই খেলায় জিতে ২-১ এগিয়ে রয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
বেআইনিভাবে আইপিএল সম্প্রচার, অভিনেত্রীকে তলব
বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি অ্যাপে আইপিএলের ম্যাচ স্ট্রিমিং বা সম্প্রচারের ঘটনায় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে তলব করেছে মহারাষ্ট্রের সাইবার সেল। জনপ্রিয় বাহুবলী ছবির অভিনেত্রীকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যায়, তামান্না ও সঞ্জয় দত্ত ফেয়ারপ্লের অ্যাপের হয়ে প্রচার চালিয়েছেন। মহাদেব বেটিং অ্যাপের সহকারী এই অ্যাপের মাধ্যমে বেইআইনিভাবে আইপিএলের ম্যাচ সম্প্রচার করা হয়েছে। যে কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভায়াকম-১৮।  এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য তামান্না ও সঞ্জয়কে ডাকা হয়েছে। কাজের ব্যস্ততার কথা উল্লেখ করে গত ২৩ এপ্রিল হাজিরা দেননি সঞ্জয়। এই মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল ইতিমধ্যেই গায়ক বাদশা এবং জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। ফেয়ারপ্লে অ্যাপ্লিকেশন, যেখানে বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। ২০২৩ সালে আইপিএলের কিছু ম্যাচও অবৈধভাবে অ্যাপে স্ট্রিম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভায়াকম-১৮ এর কাছ এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ডিজিটাল সম্প্রচারের একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। কথিত অবৈধ স্ট্রিমিংয়ের ফলে ব্রডকাস্টারের বিশাল ক্ষতি হয়। মহাদেব অ্যাপটি অবৈধ লেনদেন এবং বাজির অভিযোগে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে। ২০২৩ সালে কপিল শর্মা, সোনাক্ষী সিনহা, হুমা কুরেশি এবং হিনা খানের মতো তারকারা মহাদেব অর্থ পাচার মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর স্ক্যানারে ছিলেন। মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ মামলায় অভিনেতা রণবীর কাপুরকে রায়পুরের অফিসে হাজিরা দিতেও বলেছিল ইডি। মহাদেব অ্যাপের মাধ্যমে পোকার, কার্ড গেমস, চান্স গেমস, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেটের মতো বিভিন্ন অনলাইন গেমে বেআইনি বেটিং চালু করা হয়েছে। অভিযোগ অ্যাপটি চালাচ্ছেন দুবাইয়ের সৌরভ ও রবি উপ্পল। সংস্থাটি দুবাই থেকে পরিচালনা করে যেখানে বাজি ধরা বৈধ কিন্তু ভারতে বেটিং অবৈধ।
বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি অ্যাপে আইপিএলেরম্যাচ স্ট্রিমিং বা সম্প্রচারের ঘটনায় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে তলব করেছে মহারাষ্ট্রের সাইবার সেল। জনপ্রিয়বাহুবলী ছবির অভিনেত্রীকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান তারকার স্ত্রীর ‘সৌন্দর্যে’ হার মানবে নায়িকারা
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর চলছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিকেটার ট্রাভিস হেড। তিনি গত তিন ম্যাচে ১০২, ৮৯ ও ১ রান করে আউট হন। আইপিএলে সেঞ্চুরি করার পর থেকেই আলোচনায় তুঙ্গে ট্রাভিস হেড। গত ১৫ এপ্রিল বিরাট কোহলিদের রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আইপিএল ইতিহাসে রেকর্ড ২৮৭/৩ রানের পাহাড় গড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই ম্যাচে মাত্র ৪১ বলে ৯টি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১০২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ট্রাভিস হেড। ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরির পর তার পরিবার নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান তারকার স্ত্রীর সৌন্দর্য্যের প্রশংসা করে প্রতিবেদন করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘ট্র্যাভিস হেডের স্ত্রী সৌন্দর্য বড় নায়িকাদেরও টেক্কা দেবে।’ অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যান ট্র্যাভিস হেডের স্ত্রীর নাম জেসিকা ডেভিস। হেড এবং জেসিকা ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল বিয়ে করেন। বিয়ের আগে দুজনে চুকিয়ে প্রেম করেন। এরপর ২০২১ সালে বাগদান সম্পন্ন করেন। তারা একে অপরকে ছোটবেলা থেকেই চেনেন। জেসিকা একজন মডেল এবং উদ্যোক্তা। জেসিকার সিডনি এবং ক্যানবেরায় বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। জেসিকাকে প্রায়ই স্টেডিয়ামে স্বামী ট্র্যাভিসকে সমর্থন করতে দেখা যায়। জেসিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। এক লাখের বেশি মানুষ তাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন। তার জীবনের কিছু বিষয় ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তার ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর চলছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ক্রিকেটার ট্রাভিস হেড। তিনি গত তিন ম্যাচে ১০২, ৮৯ ও ১ রান করে আউট হন।
মানসিক চাপে ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন যেসব তারকা
খেলাধুলা একটা সময়ে ছিল শখের বিষয়। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে খেলাধুলায় এসেছে পেশাদারিত্ব। মাঠে খেলেই অনেকে হয়ে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক।  খেলায় পেশাদারিত্ব আসার কারণে খেলোয়াড়দের ওপর চাপও বেড়েছে। মানসিক চাপ সামলে যারা নিজের সেরাটা উজার করে দিতে পারেন, দিন শেষে তারাই হিরো।  কিন্তু রক্তে-মাংসে গড়া মানুষের পক্ষে প্রতিনিয়ত ভালো খেলা সম্ভব নয়। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সহজ ব্যাপার নয়। যারা ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন না তারা ভোগেন মানসিক অবসাদে। সেই অবসাদ কাটাতে অনেকে সেচ্ছায় বিশ্রামও নেন।  আইপিএলের চলতি আসরে অস্ট্রেলিয়ান তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে দলে নিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু অতীতে দলটির হয়ে দারুণ পারফম্যান্স করা ম্যাক্সওয়েল এবার ছন্দে নেই। যে কারণে নিজ থেকেই তিনি বিশ্রাম নিয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালেও একই কাজ করেছেন ম্যাক্সওয়েল।  ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইশান কিষাণও কিছুদিন আগে ক্রিকেট থেকে বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন ইশান কিশান। ২০২২ সালের এশিয়া কাপের আগে এক মাসের বিশ্রাম নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।  ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ২০২১ সালের জুলাই মাসে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতির সিদ্ধান্ত নেন।  ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ক্রিকেটার জোনাথন ট্রট মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ২০১৩ সালে অ্যাশেজ সিরিজে এক ম্যাচ খেলার পর বিশ্রাম নেন।
খেলাধুলা একটা সময়ে ছিল শখের বিষয়। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে খেলাধুলায় এসেছে পেশাদারিত্ব। মাঠে খেলেই অনেকে হয়ে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক।
বাংলাদেশে খেলতে আইপিএল ছাড়লেন রাজা, কবে ফিরবেন মোস্তাফিজ
আগামী মাসের শুরুতেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই সিরিজকে সামনে রেখে আইপিএল ছেড়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।  আগামী ৩ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজে সিকান্দার রাজাকে অধিনায়ক করে গত বুধবার দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ সফরে খেলার জন্য আইপিএল ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে টুইটারে সিকান্দার রাজা লিখেন, ‘আমাকে দলে নেওয়ার জন্য পাঞ্জাব কিংস, আইপিএল এবং ভারতকে ধন্যবাদ। প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি। এখন জাতীয় দলের হয়ে দায়িত্ব পালনের সময়। ইনশা আল্লাহ আবার দেখা হবে।’ আইপিএলের চলতি আসরে পাঞ্জাবের হয়ে ২ ম্যাচ খেলে ৪৩ রান করেছেন সিকান্দার রাজা। তবে বল হাতে কোনো সাফল্য পাননি।  বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা আইপিএল ছাড়ালেও এখনও আইপিএল খেলে যাচ্ছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে ১ মে পর্যন্ত আইপিএল খেলার অনুমতি দিয়েছে। ১ মে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলার পর ঢাকায় ফিরবেন মোস্তাফিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ক্যাম্পের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। সেই দলে নেই মোস্তাফিজ ও সাকিব আল হাসান। তাবে সিরিজ শুরুর আগেই দলের সঙ্গে তাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের সূচি প্রথম টি-টোয়েন্টি: ৩ মে, সন্ধ্যা ৬টায়, চট্টগ্রাম দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ৫ মে, সন্ধ্যা ৬টায়, চট্টগ্রাম তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ৭ মে, বিকেল ৩টায়, চট্টগ্রাম চতুর্থ টি-টোয়েন্টি: ১০ মে, সন্ধ্যা ৬টায়, মিরপুর পঞ্চম টি-টোয়েন্টি: ১২ মে, সকাল ১০টায়, মিরপুর।
আগামী মাসের শুরুতেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই সিরিজকে সামনে রেখে আইপিএল ছেড়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
দয়া করে বোলারদের বাঁচান, আকুতি অশ্বিনের
ক্রিকেট মানে ব্যাট-বলের লড়াই। ব্যাটার বোলারকে আবার বোলার ব্যাটারকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকে এমনটাই হয়ে আসছে। কিন্তু এবারের আইপিএলে দেখা যাচ্ছে ভিন্নচিত্র। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাটারদের তাণ্ডবে কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না বোলারা।  এবারের আইপিএলয়ে বোলাদের চ্যালেঞ্জ তো দূরের কথা উল্টো ব্যাটারদের বেধড়ক পিটুনি থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারছেন না। শুক্রবার রাতে যেমন ইডেন গার্ডেনসে বোলারদের বুকে চাকু বসিয়ে যেন ব্যাটিং করলেন ব্যাটাররা। দুই দল মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২৩ রান তুলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স-পাঞ্জাব কিংস। রেকর্ড ৪২ ছক্কার এমন রান বন্যার ম্যাচে অস্তিত্বের সংকটে ভুগেছে বোলাররা।  দুই দলের দুই স্পিনার রাহুল চাহার এবং সুনিল নারাইন ছাড়া বাকি বোলাররা গড়ে ১০ রানের বেশি দিয়েছে। কয়েক জন তো গড়ে ১৬ কিংবা তারচেয়ে বেশি রান দিয়েছে। ম্যাচে এমন ব্যাটিং তাণ্ডব দেখে মাঠের বাইরে থেকে বোলারদের ব্যথাটা অনুভব করছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তা না হলে গতকালের ম্যাচ নিয়ে এমন পোস্ট শেয়ার করতে না সামাজিক মাধ্যমে।  ক্রিকেট যে এখন ব্যাটারদের খেলা হয়ে যাচ্ছে নিজের পোস্টে সেটারই ইঙ্গিত দিয়েছেন অশ্বিন। ভারতীয় স্পিন কিংবদন্তি লিখেছেন, ‘দয়া করে বোলাদের বাঁচান।’ সঙ্গে তিনবার ‘এসওএস’ লিখেছেন তিনি। যার পূর্ণ রূপ—‘সেভ আওয়ার সোলস’। অর্থাৎ, আমাদের অস্তিত্ব বাঁচান। কলকাতা-পাঞ্জাব ম্যাচ নিয়ে পোস্টটা দিলেও ৩৭ বছর বয়সি অফ স্পিনারের এই আকুতি আসলে বোলাদের অস্তিত্ব রক্ষারই।  এবারের আইপিএলে যেভাবে রানের ফোয়ারা ছুটছে তাতে সামনেও ভয়ংকর দিন অপেক্ষা করছে বোলারদের জন্য। ৪২ ম্যাচ শেষে ইতিমধ্যে ২৪ ইনিংসে ২০০ কিংবা তারচেয়ে বেশি দলীয় রান হয়েছে। সবশেষ টুর্নামেন্টে মোট ৩৭ ইনিংসে ২০০ কিংবা তার বেশি রান হয়েছিল। এভাবে চলতে থাকলে রেকর্ডটা যে ভেঙে যাবে সেটা না বললেও চলে। সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৭৩ রান দেওয়ার বিব্রতকর রেকর্ডটিও এবারই হয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এমন রের্কডের সাক্ষী হয়েছেন গুজরাট টাইটানসের পেসার মোহিত শর্মা। এবারের টুর্নামেন্টেই ৬৮ রান দিয়ে খরুচে বোলারের তালিকায় শীর্ষ চারে জায়গা পেয়েছেন বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি পেসার রিচ টপলি। টুর্নামেন্টে শেষে হয়তো আরও অনেকে শীর্ষ পাঁচে যোগ দিতে পারেন।  স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ২৬২ রান তাড়া করে ৮ উইকেটে জয়ের পর স্যাম কারানও জানিয়েছেন ক্রিকেট ব্যাটারদের খেলা হয়ে যাচ্ছে। পাঞ্জাব অধিনায়ক বলেছেন, ‘শিশিরের সঙ্গে ছোট মাঠ, ভেজা বল এবং মাঝে মাঝে ওয়াইড। আপনি ভাবছেন ডট হয়েছে কিন্তু রিভিউয়ে বলটি ওয়াইড। এর অর্থ অতিরিক্ত একটা বল। তাই এখনই বলছি না খেলাটা ব্যাটারদের হয়েছে, তবে সেদিকেই যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত এখন সবাই ছক্কা দেখতে চায়।’
ক্রিকেট মানে ব্যাট-বলের লড়াই। ব্যাটার বোলারকে আবার বোলার ব্যাটারকে চ্যালেঞ্জ জানাবে ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকে এমনটাই হয়ে আসছে। কিন্তু এবারের আইপিএলে দেখা যাচ্ছে ভিন্নচিত্র। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাটারদের তাণ্ডবে কোনো কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না বোলারা।
বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। রোববার সিরিজের প্রথম ম্যাচে সিলেটে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।  এর আগে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া নারী দলের সিরিজ কোনো টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা না হলেও এবার বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস।  শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ টি-স্পোর্টসে সরাসরি দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবি। প্রতিবারই মেয়েদের সিরিজে সম্প্রচার নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও এবার আর তেমনটি হচ্ছে না।  ২৮ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে হবে প্রথম ম্যাচ। ৩০ এপ্রিল একই সময়ে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, রাতের আলোয়।  ২ ও ৬ মে পরের দুই ম্যাচ রাখা হয়েছে স্টেডিয়ামের আউটার গ্রাউন্ডে, যেটি গ্রাউন্ড-২ হিসেবে পরিচিত। এই দুই ম্যাচ হবে দুপুর ২টায়। ৯ মে শেষ ম্যাচটি আবার রাখা হয়েছে মূল মাঠে, সন্ধ্যায়।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। রোববার সিরিজের প্রথম ম্যাচে সিলেটে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
রোহিত-কোহলির অবসর নিয়ে যা বললেন যুবরাজ
জুনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দল সাজাতে ব্যস্ত অংশ নিতে চলা দলগুলো। এবারের আসরে ভারতের দল কেমন হতে চলেছে তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা। আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের দলে বিরাট কোহলি থাকবেন কিনা এমন আলোচনা শুরু হয়েছে আরও অনেক আগেই।  ২০২২ সালের পর ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি খেলেননি কোহলি। তবে ব্যাঙ্গালুরু জার্সিতে নিয়মিত খেলেছেন তিনি। চলতি আসরেও ব্যাঙ্গালুরু সেরা ব্যাটারদের তালিকায় তো রয়েছেন সবার ওপরে। একই সঙ্গে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়েও সবার ওপরে বিরাট। এখন পর্যন্ত চলমান আইপিএলে ৯ ইনিংসে ৬১.৪৩ গড় ও ১৪৫.৭৬ স্ট্রাইক রেটে ৪৩০ রান কোহলির। এর পর ও তার স্টাইক রেট নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।  এদিকে ভারতের জার্সিতে ওপেনিংয়ে এখনো রোহিতই সবার পছন্দের তালিকায়। তবু বয়স বেড়ে যাওয়ায় কবে অবসর নেবেন তা নিয়ে জোর আলোচনা হচ্ছে। তবে যুবরাজ পাশে দাঁড়ালেন রোহিত-কোহলির। তার মতে, ভারতের বিশ্বকাপ ভাগ্যনির্ভর করছে এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ওপর, এমনই মত যুবরাজের। এ ছাড়া জানান তাদের দুজনকে নিজেদের ইচ্ছেমতো অবসর নিতে দেওয়া উচিত।  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ওয়েবসাইটে যুবরাজ সিং এই প্রসঙ্গেই বলেন, ‘আপনার বয়স যত বাড়বে, লোকজন সেটা নিয়ে আরও বেশি করে কথা বলবে। ওরা আপনার ফর্মের কথা ভুলেই যাবে। এরা ভারতের রত্ন ক্রিকেটার। ওদের যখন মনে হবে, তখনই অবসরগ্রহণ করবে। এর জন্য আলাদা করে চাপ দেওয়ার দরকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমি দেশের আরও তরুণ ক্রিকেটারদের দেখতে চাই। তা হলেই সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর থেকে বোঝা কিছুটা হলেও কমবে। সে ক্ষেত্রে ওরা আরও বেশি করে ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটে ফোকাস করতে পারবে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আমি চাইব যে ভারতের আরও অনেক তরুণ ক্রিকেটার এই ফরম্যাটে অংশগ্রহণ করবে। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেন তারাই রাজত্ব করে।’
জুনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দল সাজাতে ব্যস্ত অংশ নিতে চলা দলগুলো। এবারের আসরে ভারতের দল কেমন হতে চলেছে তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা। আসন্ন বিশ্বকাপে ভারতের দলে বিরাট কোহলি থাকবেন কিনা এমন আলোচনা শুরু হয়েছে আরও অনেক আগেই।
বিশ্ব রেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব
এতদিন শাহরুখ খান আর প্রীতি জিনতার জন্য ‘বীর-জারার’ লড়াই বলেই পরিচিত ছিল ম্যাচ। এবার ইতিহাসের পাতায় উঠে গেল কলকাতা-পাঞ্জাব যুদ্ধ। আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড তৈরি গড়ল পাঞ্জাব। ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) পরাস্ত পাঞ্জাব সুপার কিংসের স্যাম কুরানরা জিতল ৮ উইকেটে। শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুরান। সাধারণত ইডেনে রান তাড়া করে জেতাটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এত বড় রান তাড়া করা সম্ভব, তা হয়তো পাঞ্জাব সমর্থকরা কল্পনাও করতে পারেননি। ২৬২ রানের লক্ষ্য কোনো বাধাই মনে হল না তাদের কাছে। এতদিন আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ২০২০ সালে এই পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২২৬ রান করে জিতেছিল তারা। এদিন নাইটরা তার থেকেও অনেক বেশি ২৬১ রান তুলেছিল। তবুও সেই রান টপকে গেলেন বেয়ারস্টোরা। প্রথম ইনিংসটা ছিল নাইটদের দখলে। নারিন আর সল্টের জুটিতে রানের পাহাড়ে চেপেছিল গম্ভীর বাহিনী। একাধিক ক্যাচ ছেড়ে দেয় পাঞ্জাবের ফিল্ডাররা। পাওয়ার প্লে-তে উঠল ৭৬ রান। রাবাদাকে চার মেরে মাত্র ২৪ বলে অর্ধশত রান করলেও নারিন থামলেন ৩২ বলে ৭১ করে। তখন ফিল সল্টের দাপট তখন চলছিল। কুরানের ইয়র্কারে সল্ট ফিরে গেলেন ৩৭ বলে ৭৫ রানে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, আন্দ্রে রাসেলদের রান জুড়ে নাইটরা থামল ২৬১ রানে। আর বেয়ারস্টোর ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি।  পাঞ্জাব ইনিংসের প্রথম থেকেই ঝড় দাপট দেখাতে থাকেন প্রভসীমরন সিং। এর পর সুনীল নারিন শশাঙ্ক সিংয়ের দাপটে দলীয় ২৬২ রান করে পাঞ্জাবকে জিতিয়ে দিল ৮ উইকেটে। আইপিএলের ইতিহাসে ইডেন গার্ডেন্সে এক ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রান। শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল। কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২৬১/৬ (সল্ট ৭৫, নারিন, ৭১, অর্শদীপ ৪৫/২) পাঞ্জাব কিংস: ২৬২/২ (বেয়ারস্টোর ১০৮, শশাঙ্ক ৬৮, নারিন ২৪/১)
এতদিন শাহরুখ খান আর প্রীতি জিনতার জন্য ‘বীর-জারার’ লড়াই বলেই পরিচিত ছিল ম্যাচ। এবার ইতিহাসের পাতায় উঠে গেল কলকাতা-পাঞ্জাব যুদ্ধ। আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড তৈরি গড়ল পাঞ্জাব। ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) পরাস্ত পাঞ্জাব সুপার কিংসের স্যাম কুরানরা জিতল ৮ উইকেটে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ সদস্যের পাকিস্তান স্কোয়াড বাছলেন ওয়াকার
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিস আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সেরা ১৫ জনের স্কোয়াড বাছাই করেছেন। তার এই তালিকায় চোটে আক্রান্ত খেলোয়াড়েরাও আছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই কোচের ধারণা বিশ্বকাপের আগে সবাই সেরে ওঠবে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড শুরু হওয়ার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় পছন্দের ১৫ খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেন। ওয়াকারের দলে রিজওয়ান, আজম খান ও হারিস রউফও রয়েছেন।  টপ অর্ডারে ওয়াকার রেখেছেন সায়েম আইয়ুব, ফখর জামান এবং উসমান খানকে। শেষের জনকে অধিনায়ক বাবরের ডেপুটি ক্যাপ্টেন হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছেন ওয়াকার। স্পিনেও হেভি লাইন আপ বেছে নিয়েছেন সাবেক এই বোলিং কোচ। শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদ ও ইমাদ ওয়াসিমকে ১৫ জনের তালিকায় রেখেছেন তিনি। পেসার হিসেবে তিনি শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আমির এবং হারিস রউফকে রেখেছেন। আর তরুণদের মধ্যে আব্বাস আফ্রিদি ও জামান খানকে বিবেচনায় নিয়েছেন তিনি। ওয়াকারের দৃষ্টিতে পাকিস্তানের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ একাদশ বাবর আজম, রিজওয়ান, উসমান খান, আজম খান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, ফখর জামান, সায়েম আইয়ুব, ইমাদ ওয়াসিম, আবরার আহমেদ, ওসামা মীর, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, আমির, হারিস রউফ।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিস আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সেরা ১৫ জনের স্কোয়াড বাছাই করেছেন। তার এই তালিকায় চোটে আক্রান্ত খেলোয়াড়েরাও আছেন। পাকিস্তানের সাবেক এই কোচের ধারণা বিশ্বকাপের আগে সবাই সেরে ওঠবে।
‘মাশাআল্লাহ’ লিখে কী ইঙ্গিত দিলেন মুশফিক
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ সকালে মুশফিকুর রহিম একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ‘মাশাআল্লাহ’ লিখে তারপর তিনটি ইমোজি দিয়েছেন। কী কারণে পোস্টটি দেওয়া, সেটা কারও হয়তো বুঝতে বাকি নেই। বিতর্কিত এক আউটের স্বীকার যে গতকাল বৃহস্পতিবার হয়েছেন, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডান ম্যাচের আলোচিত ঘটনা মুশফিকের আউটকে ঘিরে। প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে নাঈম হাসানকে তুলে মারতে যান মুশফিক। ওয়াইড লং অন এলাকায় ডাইভ দিয়ে ক্যাচ ধরেন আবু হায়দার রনি। প্রাইম ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেওয়ার পর উল্লাস করতে দেখা যায় মোহামেডানের ক্রিকেটারদের। তবে ঘটনা যে এখানেই থেমে থাকেনি। ছক্কা না আউট—এই সমস্যার সমাধান করতেই খেলা বন্ধ থাকে ১০ মিনিট। ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি এবং এ আই এম মনিরুজ্জামান। শেষ পর্যন্ত মুশফিককে আউট ঘোষণা করা হয়।  পরে দেখা যায়, ডাইভ দিয়ে ওঠার সময় বাউন্ডারি সীমানায় রনির পা লেগে যায়। এই ছবিই নিজের ফেসবুক পেজে আজ পোস্ট করেন মুশি। তৃতীয় আম্পায়ার থাকলে হয়তো এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাতে আরও সূক্ষ্মভাবে মুশফিকের আউট নিয়ে পর্যালোচনা করা যেত। মুশফিক পোস্টটি দেওয়ার পর দ্রুতই অনেকের নজরে এসেছে। পোস্টের প্রথম ৩৭ মিনিটেই মন্তব্য ৩ হাজারের বেশি। প্রতিক্রিয়া এসেছে ৩৬ হাজার। শেয়ার হয়েছে ৫৭২ বার। মুশফিকের সতীর্থ রুবেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই’। রুবেল এরপর দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন।   সুপার লিগের ম্যাচটিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে মোহামেডান। মোহামেডান ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে করে ৩১৭ রান। রান তাড়া করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচ-সেরা হয়েছেন রনি তালুকদার। ১৩১ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১৪১ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রনি তালুকদার বল ঠেলে দিয়েছেন আবু হায়দারের কোর্টে।  রনি তালুকদার বলেন, ‘সেটা তো রনিই ভালো জানে। ক্যাচটা নিয়েছে রনি। রনির ওপরই নির্ভর করছে। সে যে সিদ্ধান্ত দেবে, তার ওপরই নির্ভর করবে। কারণ, এখানে ক্যামেরা তো ওইভাবে ছিল না। তৃতীয় আম্পায়ার যদি থাকতেন, তাহলে সেটা দেখতে পারতেন। এটা খেলোয়াড়দের ওপর দিয়েই যায়।’
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ সকালে মুশফিকুর রহিম একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ‘মাশাআল্লাহ’ লিখে তারপর তিনটি ইমোজি দিয়েছেন। কী কারণে পোস্টটি দেওয়া, সেটা কারও হয়তো বুঝতে বাকি নেই। বিতর্কিত এক আউটের স্বীকার যে গতকাল বৃহস্পতিবার হয়েছেন, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
টাকার কাছে শেষ হচ্ছে বোলাররা: ওয়াসিম আকরাম
চলতি আইপিএলে রানের জোয়ারে ভাসছে। প্রতি ম্যাচেই বোলারদের অসহায়ত্ব আর ব্যাটারদের বীরত্ব ফুটে উঠছে। এমনটি দেখে বোলারদের নিয়ে এবার মন্তব্য করেছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরাম। তিনি মনে করছেন, টাকার কাছে শেষ হচ্ছে আইপিএলের বোলাররা। ১৭তম আসরের আগে আইপিএলে এক ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ ছিল ২৬৩ রান, যা ১১ বছর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু করেছিল। এবার এখন অবধি আড়াইশ পেরিয়ে যে তিনটি ইনিংস খেলেছে হায়দরাবাদ, সেগুলো যথাক্রমে— ২৭৭, ২৮৭ ও ২৬৬। কলকাতা তুলেছিল ২৭২ রান, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২৬২। বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানি তারকা ওয়াসিম আকরাম জানান, এবারের আইপিএলে বোলারদের ব্যাপারটি হলো— টাকা নাও আর ধ্বংস হও। এমন খবরই বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের ‘সি’ দলের কাছে হেরে যা বললেন বাবর ওয়াসিম আকরাম বলেন, বোলারদের জন্য আমার মায়া হচ্ছে। যেভাবেই বল করছে, সীমানা ছাড়া হচ্ছে। পাওয়ার প্লেতে যেমন, পাওয়ার প্লের বাইরেও মার খাচ্ছে সমানে। হায়দরাবাদ তো এক ম্যাচে ছয় ওভারে ১২৫ রান তুলেছে। এটি বেআইনি। বোলাররা যেন টাকা খাচ্ছে আর ধ্বংস হচ্ছে। আমার ভাগ্য ভালো এই যুগে জন্মাইনি।’
চলতি আইপিএলে রানের জোয়ারে ভাসছে। প্রতি ম্যাচেই বোলারদের অসহায়ত্ব আর ব্যাটারদের বীরত্ব ফুটে উঠছে। এমনটি দেখে বোলারদের নিয়ে এবার মন্তব্য করেছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম আকরাম। তিনি মনে করছেন, টাকার কাছে শেষ হচ্ছে আইপিএলের বোলাররা।
ক্রিকেটাররা যে টুর্নামেন্ট খেলে হতে পারবেন কোটিপতি
ভারতীয় ক্রিকেটারদের টেস্ট ফরম্যাটে খেলায় উৎসাহিত করতে কিছু দিন আগে বড় অঙ্কের বোনাস ও ম্যাচ-ফি বাড়িয়েছিল ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।  ওই সময়ই দেশটির কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও এমন উদ্যোগ নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন।  অবশেষে তার সেই দাবি সফল হতে যাচ্ছে। ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলা ক্রিকেটারদেরও কোটিপতি হওয়ার সুযোগ দিতে যাচ্ছে বিসিসিআই! এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তারা বলছে, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে বিসিসিআই, যা বাস্তবায়নে অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি কাজও শুরু করে দিয়েছে। তারা প্রস্তাব দিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার। যদিও এখনো বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে, কমিটির সুপারিশের পরই ম্যাচ ফি বাড়ানো নিয়ে পদক্ষেপ নেবে ক্রিকেট বোর্ড। নির্বাচক প্যানেলের লক্ষ্য–আইপিএলে সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটাররা যেন বঞ্চিত না হন। তবে ঠিক কী পরিমাণে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়বে সেটি এখনো নিশ্চিত হয়নি ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। ক্রিকবাজের মতে, বর্তমানে ক্রিকেটাররা ম্যাচপ্রতি যে অর্থ পান, সেটি দ্বিগুণ করে দেওয়া হতে পারে। এমনকি এর মাধ্যমে ঘরোয়া ক্রিকেটাররা ৭৫ লাখ থেকে এক কোটি রুপি পর্যন্তও বছরে আয় করার সুযোগ পেতে পারেন। যদি কোনো ক্রিকেটার রঞ্জি ট্রফিতে এক মৌসুমে কমপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলেন, তারই ওই সুযোগ আসতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ। বর্তমানে রঞ্জি ট্রফি খেলা ক্রিকেটাররা কেমন ম্যাচ ফি পান, সেই চিত্রটাও দেখে নেওয়া যাক।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, চল্লিশের বেশি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটাররা ম্যাচপ্রতি ৬০ হাজার রুপি করে পান। যাদের ম্যাচ সংখ্যা ২১ থেকে ৪০-এর মধ্যে, তারা পান ৫০ হাজার রুপি করে। ৪০ হাজার রুপি করে পান তার চেয়ে কম (কমপক্ষে ২০ ম্যাচ) খেলা ক্রিকেটাররা। এটা অবশ্য প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাপ্ত অর্থের হিসাব। রিজার্ভ বেঞ্চে থাকলে এই তিন বিভাগে পাওয়া যায় যথাক্রমে ৩০, ২৫ ও ২০ হাজার টাকা।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের টেস্ট ফরম্যাটে খেলায় উৎসাহিত করতে কিছু দিন আগে বড় অঙ্কের বোনাস ও ম্যাচ-ফি বাড়িয়েছিল ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।
নিউজিল্যান্ডের ‘সি’ দলের কাছে হেরে যা বললেন বাবর
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম সারির দল না পাঠিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আইপিএলে ব্যস্ত রেখে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পাকিস্তান সফরে পাঠিয়েছেন কিউইরা। স্বাগতিক পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের খর্বশক্তির দলের সঙ্গে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হারের পর গতকাল লাহোরে চতুর্থ ম্যাচেও হারের মুখ দেখেছে।  লাহোরে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফখর জামানরা ৪ রানে হেরেছেন। এই হারে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল পাকিস্তান। তবে ঘরের মাঠে দুর্বল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক স্পষ্ট জানিয়েছেন তারা এখন চিন্তিত নয়, পরীক্ষা করছে তার দল।  সিরিজের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়ায় বাতিল হয়, দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান দাপটের সঙ্গে জয় পেলেও তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজের সমতা ফেরায় নিউজিল্যান্ড।  আরও পড়ুন: রিজওয়ানের ইনজুরি নিয়ে যা জানালেন বাবর আজম বৃহস্পতিবার লাহোরে একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন অবসর ভেঙে ফেরা অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম। জাতীয় দলে নিজের প্রত্যাবর্তনে নায়ক হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ইমাদ যখন ক্রিজে নামলেন তখন দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২১ বলে ৪১ রান হাতে ছিল ৫ উইকেট। ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন ইমাদ। তবে ১৮তম ওভারে দলীয় ১৪৬ রানে ফখর ফিরে গেলে জয়ের আশা প্রায় থেমে যায় পাকিস্তানের। কিন্তু সেখান থেকেই ১৪ বলে ৩৩ রানের প্রয়োজন থাকা ম্যাচটিতে আবারও পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখান ইমাদ।  শেষ ২ বলে ১০ রানের প্রয়োজন ছিল, যেখানে ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে জিমি নিশামকে চার হাঁকিয়ে পুরো লাহোর স্টেডিয়ামের দর্শকদের আশা পুনরায় ফিরিয়ে আনেন ইমাদ। তবে শেষ বলে ৬ রান নিতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তার ১১ বলে ২২ রানের ইনিংস বৃথা যায়, পাকিস্তান হেরে বসে ৪ রানে।  লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বাবর আজম (৪ বলে ৫ রান), সায়েম আইয়ুব (১৫ বলে ২০ রান) ও উসমান খানদের (১১ বলে ১৬ রান) হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ফখর জামান মিডল ওভারে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের হার এড়াতে পারেনি।  আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে মাঠে নামা অনিশ্চিত রিজওয়ানের পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৬১ রান করেন ফখর জামান। কিউইদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন উইলিয়াম ও'রুয়র্ক।   এর আগে ব্যাট করতে নেমে টিম রবিনসনের ৫১ ও ফক্স ক্রফটের ৩৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান করে নিউজিল্যান্ড।   সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ম্যাচ শেষে নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের বেঞ্চের শক্তি কেমন তা পরীক্ষা করছি এবং ভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন চেষ্টা করছি। আমরা প্রতি ম্যাচেই নতুন এবং ভিন্ন কিছু পরখ করছি। আশা করছি, আমরা বিশ্বকাপের আগে সবকিছু ঠিক করতে পারব।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম সারির দল না পাঠিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আইপিএলে ব্যস্ত রেখে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পাকিস্তান সফরে পাঠিয়েছেন কিউইরা। স্বাগতিক পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের খর্বশক্তির দলের সঙ্গে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হারের পর গতকাল লাহোরে চতুর্থ ম্যাচেও হারের মুখ দেখেছে।
নারী ফুটবল লিগে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী
প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল লিগে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তারই অংশ হিসেবে উত্তরা ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। আর্মি স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনী নারী দল ৪-১ গোলে জিতেছে।  সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ পুরো ম্যাচ উপভোগ করেন। পরে পুরস্কারও তুলে দেন দুদলকে। গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি নারী দলের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সেনাবাহিনী নারী ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়। আগামী ২৭ এপ্রিল শুরু হচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। নয় দল অংশ নিচ্ছে এই লিগে।  বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আসন্ন ‘এবিজি বসুন্ধরা মহিলা ফুটবল লীগ ২০২৩-২৪’ উপলক্ষ্যে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়।  এই এবিজি বসুন্ধরা মহিলা ফুটবল লিগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মহিলা ফুটবল দল প্রথমবারের মতো কোনো পেশাদার ফুটবল লিগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও ঢাকা সেনানিবাসের বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল লিগে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী। তারই অংশ হিসেবে উত্তরা ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। আর্মি স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনী নারী দল ৪-১ গোলে জিতেছে।
বুকের ব্যথায় হাসপাতালে তেভেজ
বুকে অস্বস্তির কারণে বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদ্রোর ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ। আলসিলেস্তেদের হয়ে ৭৬টি ম্যাচ খেলা এ তারকা এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে তার ক্লাব অ্যাটলেটিকো ইন্ডিপেন্ডিয়েন্ট। ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বুকে ব্যথা নিয়ে আমাদের কোচ কার্লোস তেভেজ লা ত্রিনিদাদ হাসপাতালে গিয়েছিলেন।  প্রাথমিকভাবে যে পরীক্ষা করা হয়েছে, তার ফল সন্তোষজনক। আজ তার সাধারণ চেকআপের অংশ হিসেবে আরও পরীক্ষা করা হবে। টেস্টগুলো শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন। ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টের কোচ হওয়ার আগে ২০২২ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার পরেই স্বদেশি ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালের হয়ে প্রথম কোচিং শুরু করেন তেভেজ। রোজিরিও হয়ে সময়টা ভালো না কাটায় পরে কোচিং ক্যারিয়ারে এক বছর বিরতি নিয়ে বর্তমান ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেন ৪০ বছর বয়সি কোচ, যার মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত রয়েছে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের জন্য তেভেজ এমনিতেই নিয়মিত চেকআপের জন্য হাসপাতালে যেতেন। গত বছরও এক দুর্ঘটনায় হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তেভেজকে। ২০০৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে ৭৬টি ম্যাচ খেলেন তেভেজ। গোল করেছেন ১৩টি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলেছেন এমন ১৪ জন ফুটবলারের মধ্যে তেভেজ একজন। সব মিলিয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে ম্যাচ খেলেছেন ৫১৭টি, গোল করেছেন ২২৭টি। ইউনাইটেডের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ। সিটির হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ।
বুকে অস্বস্তির কারণে বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদ্রোর ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ। আলসিলেস্তেদের হয়ে ৭৬টি ম্যাচ খেলা এ তারকা এখন সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে তার ক্লাব অ্যাটলেটিকো ইন্ডিপেন্ডিয়েন্ট।
নারী সমর্থককে জড়িয়ে ধরে নিষিদ্ধ হলেন ইরানের সেই গোলকিপার
মাঠে নারী সমর্থককে জড়িয়ে ধরার ঘটনায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ইসতেগলালের গোলকিপার হোসেইন হোসেইনিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  ইরানের সংবাদমাধ্যম ‘খবর ভারজেশি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  গত ১২ এপ্রিল ইরানের ফুটবল লিগের এক ম্যাচে একজন তরুণী বাধ্যতামূলক হিজাব না পরে গ্যালারি থেকে নেমে দৌড়ে মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের কাছে যাচ্ছিলেন। তখন তাকে কয়েকজন বাধা দেন। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইরানি দল অ্যালুমিনিয়াম আরাক বনাম ইসতেগলাল এফসি। উৎসুক ওই নারীকে মাঠে আসতে দেখে এগিয়ে যান এসতেগলালের গোলকিপার হোসেইন হোসেইনি। তিনি ওই নারীকে জড়িয়ে ধরেন।  মাঠের এমন দৃশ্য মানতে পারেননি গ্যালারির আরেকপ্রান্তে উপস্থিত পুরুষ সমর্থকরা। তারা প্রতিবাদ জানালে ম্যাচ অফিসিয়ালরা হোসেইনকে মাঠ থেকে বের করে দেন। তখন আরেক ফুটবলার এসে ওই নারী ভক্তকে তার জার্সি খুলে উপহার দেন। সেই জার্সি পেয়ে ওই নারী ভক্ত খুশিতে মাঠ ত্যাগ করে গ্যালারিতে গিয়ে উল্লাস করেন।  সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশটিতে বিপরীত লিঙ্গের কাউকে স্পর্শ করা ইসলামি রীতি অনুসরে হারাম। নীতি-বহির্ভূত এমন কাজ করায় হোসেইন হোসেইনিকে আইনের আওতায় আনার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন দেশটির নারী ও পারিবারিক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিয়ে খাজালি।  আরও পড়ুন: ফুটবল মাঠে ইরানি নারী ভক্তের বিতর্কিত কাণ্ড ‘খবর ভারজেশি’র প্রতিবেদন অনুসারে, হোসেইনিকে ৪৭০০ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা) সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছে ইরান ফুটবল ফেডারেশন। এর পাশাপাশি তাকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ, ‘ম্যাচে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার’ করেছেন হোসেইনি। ইসতেগলালের হয়ে সুপার কাপ ও পারসিয়ান গালফ প্রো লিগজয়ী (ইরানের শীর্ষ লিগ) হোসেইনি ২০১২ সাল থেকে এই ক্লাবের গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন। ৩৮টি ট্রফিজয়ী ইসতেগলাল ইরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাবগুলোরও একটি। ইরানের একমাত্র ক্লাব হিসেবে একাধিকবার আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছে ইসতেগলাল। ২০১৮ সালে ইরানের জার্সিতে অভিষেক হোসেইনির। জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত খেলেছেন ১১ ম্যাচ। খেলেছেন ২০২২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও। পারসিয়ান গালফ প্রো লিগের এবারের মৌসুমে হাতে ৬টি করে ম্যাচ রেখে দ্বিতীয় পার্সেপোলিসের সঙ্গে ১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ইসতেগলাল (২৪ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট)। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর ফুটবল ম্যাচে নারী দর্শকের উপস্থিতি নিষিদ্ধ ছিল। ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়নশিপের এক ম্যাচে গত ৪০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নারী দর্শকদের উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হয়।پس از این که سیدحسین حسینی، کاپیتان استقلال، یک جیمی‌جامپ زن را در پایان بازی آلومینیوم-استقلال در آغوش گرفت، یکی از پلیس‌های حاضر در ورزشگاه اراک به او حمله کرد که این حرکت او با حمایت سایر نیروهای پلیس و تلاش اعضای تیم استقلال برای جدا کردن او از دروازه‌بان تیم‌شان همراه شد.… pic.twitter.com/OwaXmHr9vL— ایران اینترنشنال ورزشی (@iranintlsport) April 12, 2024
মাঠে নারী সমর্থককে জড়িয়ে ধরার ঘটনায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ইসতেগলালের গোলকিপার হোসেইন হোসেইনিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতল মিলান
পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরি আ’র শিরোপা ঘরে তুলেছে ইন্টার মিলান। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অনতিক্রম্য লিডের জন্ম দিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।  ডার্বির কথা এলে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে ছিল ইন্টারের আধিপত্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। লিগে এই মৌসুমে একবার মাত্র হার দেখা দলটি দুইয়ে থাকা মিলানের চেয়ে ১৭ পয়েন্টের ব্যবধান রেখে শীর্ষে রয়েছে। ইন্টারের সংগ্রহ ৮৯ আর মিলানের ৬৯।  ১৮ মিনিটে ফ্রান্সেসকো আসের্বির হেডে লিড পায় ইন্টার। বিরতির চার মিনিট পর মার্কাস থ্যুরামের নিচু শট থেকে আসা গোলটি ছিল তাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট। শেষ দিকে ৮০ মিনিটে মিলানের হয়ে একটি শোধ দেন ফিকায়ো তোমোরি। তবে সমতাসূচক গোলের আর দেখা পায়নি তারা।  ডার্বি ম্যাচ হওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা যে ছিল না এমন নয়। স্টপেজ টাইমে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইন্টারের ডেনজেল ডামফ্রিস ও মিলানের থিও হের্নান্দেস। কয়েক মিনিট বাদে ৯ জনের দলে পরিণত হয় মিলান। উগ্র আচরণের জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কালাব্রিয়া।     ইন্টারের এটি ২০তম সিরি আ’ শিরোপা। সর্বশেষটি এসেছিল ২০২১ সালে। তার পর ২০২২ সালে এসি মিলান ও গত বছর জেতে নাপোলি। ২০২১ সালে ইন্টারের দায়িত্ব নেওয়া সিমোন ইনজাগির কোচ হিসেবে এটি প্রথম শিরোপা। দলটির অধিনায়ক লাউতারো মার্তিনেজ শিরোপা নিশ্চিত করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন, মনে হচ্ছে কেঁদে দিবো। আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। এই বাধভাঙা আনন্দ আমাদের প্রাপ্য।
পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরি আ’র শিরোপা ঘরে তুলেছে ইন্টার মিলান। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে অনতিক্রম্য লিডের জন্ম দিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
রিয়ালের কাছে হেরে যা বললেন বার্সা কোচ
বার্সেলোনার গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন ও কোচ জাভি হার্নান্দেজ লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার একটি সম্ভাব্য গোল প্রযুক্তির অভাবে নির্ণয় করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর বার্সা কোচ বলেছেন, অবিচারের শিকার হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে তার। লা লিগাকে বিশ্বসেরা লিগ হতে হলে গোললাইন প্রযুক্তি যুক্ত করতেই হবে। শেষ হতে চলা ২০২৩-২৪ মৌসুমে বার্সেলোনার পাওয়ার নেই তেমন কিছুই। স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়নস লিগ- সব আসর থেকেই খালি হাতে ফিরেছে জাভির দল। লা লিগায়ও ট্রফির দৌড়ে পিছিয়ে অনেকখানি। এর মধ্যে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে পারলে সমর্থকদের জন্য কিছুটা সান্ত্বনা হয়তো হতো! ম্যাচে দুই দফা এগিয়েও যায় বার্সা। কিন্তু জুড বেলিংহামের যোগ করা সময়ের গোলে হেরে গেছে বার্সা। ম্যাচের ২৮ মিনিটে কর্নার থেকে লামিনে ইয়ামালের টোকা কোনোমতে ঠেকান রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার আন্দ্রে লুনিন। ক্যামেরার বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল দেখেও ঠিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলটি গোললাইন পেরিয়েছে কি না। যে কারণে গোলও দেওয়া হয়নি।  ম্যাচ শেষে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বার্সা গোলকিপার টের স্টেগেন, গোললাইনে কী ঘটেছে, বলার ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। এটা ফুটবলের জন্যই অস্বস্তিকর। এখানে এত টাকা, কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটার জন্যই নেই। আমি বুঝতে পারছি না, যে প্রযুক্তি অন্যান্য লিগে আছে, আমরা কেন সেটা নিতে পারছি না।  টের স্টেগেনের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন কোচ জাভিও, আমি ওর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাটা অস্বস্তিকর। আমরা যদি এটিকে বিশ্বসেরা লিগে পরিণত করতে চাই, তাহলে এটা লাগবেই। সংবাদ সম্মেলনে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে নিজেদের জন্য অবিচার বলেও মন্তব্য করেন বার্সা কোচ, ‘সবাই দেখেছে, কী হয়েছে। আমি আর কী বলব? লিগ কর্তৃপক্ষ আমাকে শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু ছবি তো আছে। আজ মনে হচ্ছে, আমরা পুরোপুরি অবিচারের শিকার হয়েছি। আমি ম্যাচের আগে বলেছিলাম, আশা করি রেফারিং নিয়ে ভাবতে হবে না এবং তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই দেবেন। কিন্তু দিন শেষে কোনোটাই ঘটেনি।’ জাভির সংবাদ সম্মেলনের আগেই অবশ্য লা লিগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস লোগলাইন প্রযুক্তি না থাকা নিয়ে নিজের যুক্তি দিয়ে রেখেছেন। ইয়ামালের গোলটি না হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে লা লিগা প্রধান এক্সে একটি পোস্ট দেন, যেখানে ছিল কিছু সংবাদের শিরোনামের স্ক্রিনশট। ওই সংবাদগুলো ছিল গোললাইন প্রযুক্তির ভুল নিয়ে। ক্যাপশনে লেখা—‘নো কমেন্টস’। এল ক্লাসিকো জিতে রিয়াল মাদ্রিদ এখন বার্সেলোনার চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে। লিগে মাত্র ৬ ম্যাচ বাকি থাকায় ট্রফি জয় এখন সময়ের ব্যাপার মাদ্রিদের জন্য। বার্সা কোচ আগাম অভিনন্দনই জানিয়ে রেখেছেন রিয়ালকে, ‘লা লিগা ৩৮ ম্যাচের লম্বা পথ। রিয়াল মাদ্রিদকে অভিনন্দন জানাতেই হয়। পুরো মৌসুমে তারা মাত্র একটা ম্যাচ হেরেছে। ট্রফির হিসাব-নিকাশ কার্যত এখানেই শেষ।’
বার্সেলোনার গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন ও কোচ জাভি হার্নান্দেজ লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাকে অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার একটি সম্ভাব্য গোল প্রযুক্তির অভাবে নির্ণয় করা যায়নি।
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়ালের কাছে হারল বার্সা
শুরুতেই এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। পেনাল্টি থেকে সেটা শোধ করল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আবার এগিয়ে গেল বার্সা, আবার সমতায় ফিরল রিয়াল। এর মাঝে চলল দুই দলের একের পর এক গোল মিসের মহড়া। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে ম্যাচে রিয়ালকে প্রথম লিড এনে দেন জুড বেলিংহ্যাম। শেষ পর্যন্ত সেই গোলই গড়ে দেয় ব্যবধান। সোমবার লা লিগার ম্যাচের ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। বার্সেলোনার হয়ে একটি করে গোল করেন ক্রিস্টেনসন ও ফারমিন লোপেজ। আর রিয়ালের হয়ে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, লুকাস ভাজকুয়েজ ও বেলিংহ্যাম।  এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়ালের পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াল ১১। নাটকীয় কিছু না হলে এবারের লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে যাচ্ছে রিয়াল। ৩২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৮১ আর সমান ম্যাচে বার্সেলোনার ৭০।
শুরুতেই এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। পেনাল্টি থেকে সেটা শোধ করল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আবার এগিয়ে গেল বার্সা, আবার সমতায় ফিরল রিয়াল। এর মাঝে চলল দুই দলের একের পর এক গোল মিসের মহড়া। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে ম্যাচে রিয়ালকে প্রথম লিড এনে দেন জুড বেলিংহ্যাম। শেষ পর্যন্ত সেই গোলই গড়ে দেয় ব্যবধান।
রিয়াল জিতলেই সিংহাসন হারাবে বার্সেলোনা
বছরের শুরুতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কোপা দেল রে থেকেও বিদায় নেয় বার্সেলোনা।  এরপরই মৌসুম শেষে বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ। তখনো ‘ডাবল’ জিতে ক্লাব কিংবদন্তি জাভির শেষটা মনে রাখার মতো করার সুযোগ ছিল কাতালানদের।  কিন্তু বার্সার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন শেষ আটেই ভেঙে দিয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি। সেই ক্ষত নিয়ে আগামীকাল বার্নাব্যুতে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সা।  আগামীকাল হারলে তাদের লা লিগার রাজত্ব হারানোও কার্যত নিশ্চিত হয়ে যাবে। জাভিকে বার্সা ছাড়তে হবে শূন্য হাতে! ৩১ ম্যাচ শেষে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সা।  রোববার রিয়ালের ডেরায় বার্সা জিতলে দুদলের ব্যবধান কমে দাঁড়াবে পাঁচ পয়েন্টে। সেক্ষেত্রে শেষ ছয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ থাকবে বার্সার। উলটোটা হলে শিরোপা দৌড়ে ১১ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে যাবে রিয়াল। তখন অলৌকিক কিছুর স্বপ্ন দেখারও সুযোগ থাকবে না বার্সার। ম্যানসিটিকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠায় এল ক্লাসিকোর আগে মানসিকভাবেও চাঙ্গা রিয়াল। বার্সার মাঠে মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকো তারা জিতেছিল ২-১ গোলে। এরপর সৌদি আরবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের নাস্তানাবুদ করে স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে কার্লো আনচেলত্তির দল। বেলিংহাম, ভিনিসিয়ুসদের সামনে আজ ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক জয়ের হাতছানি। রিয়াল জিতলে কার্যত শিরোপার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। শোনা যাচ্ছে, হারলে এই ম্যাচ শেষে বার্সার কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন জাভি। তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন রিজার্ভ দলের কোচ রাফায়েল মার্কেজ।
বছরের শুরুতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কোপা দেল রে থেকেও বিদায় নেয় বার্সেলোনা।
দলকে সেমিতে তুললেও দুঃসংবাদ পেলেন মার্টিনেজ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে যারা সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন— এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে তিনি গোলপোস্টের সামনে চীনের প্রাচীর হয়েই ছিলেন। বাজপাখিখ্যাত এই গোলরক্ষক ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত সব সেভ করেন। এমনকি টাইব্রেকারেও ফরাসিদের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। এর পর কদিন আগে উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফরাসি ক্লাব লিলের বিপক্ষে ম্যাচে টাইব্রেকারে জোড়া শট ঠেকিয়ে অ্যাস্টন ভিলাকে সেমিফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা পালন করেন তিনি। তবে দলকে সেমিফাইনালে তুললেও দুঃসংবাদ পেয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক। সেমিফাইনালে অ্যাস্টন ভিলা মুখোমুখি হবে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে। তবে আগামী ২ মে হতে যাওয়া ম্যাচের প্রথম লেগে মার্টিনেজ খেলতে পারবেন না। কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে তিনটি হলুদ কার্ড দেখেছেন মার্টিনেজ। এ জন্য তাকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে উয়েফা। লিলের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখেন মার্টিনেজ। কিন্তু এক ম্যাচে দুবার হলুদ কার্ড দেখলেও ম্যাচটি খেলতে পেরেছেন তিনি। কেননা, উয়েফার নিয়মানুযায়ী এক ম্যাচে একবার হলুদ কার্ড দেখলেও তা টাইব্রেকারের সময় দেখা হলুদ কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। লিলের বিপক্ষে ম্যাচে মার্টিনেজ প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন ম্যাচের ৩৯ মিনিটে।  এর পর তিনি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ম্যাচের টাইব্রেকারের সময়। এ কারণেই দুই হলুদ কার্ড দেখলেও টাইব্রেকারে তিনিই ছিলেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক, আর দুর্দান্ত দুটি সেভ করে জয়ের নায়কও তিনিই।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে যারা সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন— এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে তিনি গোলপোস্টের সামনে চীনের প্রাচীর হয়েই ছিলেন। বাজপাখিখ্যাত এই গোলরক্ষক ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত সব সেভ করেন। এমনকি টাইব্রেকারেও ফরাসিদের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।
ফুটবল মাঠে ইরানি নারী ভক্তের বিতর্কিত কাণ্ড
ফুটবল মাঠে বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিলেন ইরানের এক নারী সমর্থক। তিনি মাঠে দৌড়ে এসে এক ফুটবলারকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।  অথচ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশটিতে বিপরীত লিঙ্গের কাউকে স্পর্শ করা ইসলামি রীতি অনুসরে হারাম। নীতি-বহির্ভূত এমন কাজ করায় তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন দেশটির নারী ও পারিবারিক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিয়ে খাজালি।  গত শুক্রবার ইরানের একজন তরুণী বাধ্যতামূলক হিজাব না পরে গ্যালারি থেকে নেমে দৌড়ে মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের কাছে যাচ্ছিলেন। তখন তাকে কয়েকজন বাধা দেয়। সেই ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইরানি দল অ্যালুমিনিয়াম আরাক বনাম এস্তেগলাল এফসি। উৎসুক ওই নারীকে মাঠে আসতে দেখে এগিয়ে যান এস্তেগলালের গোলকিপার হোসেইন হোসেইনি। তিন ওই নারীকে জড়িয়ে ধরেন।  মাঠের এমন দৃশ্য মানতে পারেননি গ্যালারির আরেকপ্রান্তে উপস্থিত পুরুষ সমর্থকরা। তারা প্রতিবাদ জানালে ম্যাচ অফিসিয়ালরা হোসেইনকে মাঠ থেকে বের করে দেন। তখন আরেক ফুটবলার এসে ওই নারী ভক্তকে তার জার্সি খুলে উপহার দেন। সেই জার্সি পেয়ে ওই নারী ভক্ত খুশিতে মাঠ ত্যাগ করে গ্যালারিতে গিয়ে উল্লাস করেন।  ইরানের নারী ও পারিবারিক বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিয়ে খাজালি ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেন, স্টেডিয়ামে নারীদের প্রবেশের নির্দেশিকাগুলো সম্পূর্ণ কার্যকর করা হবে। কারণ সেগুলো খারাপভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। ওই নারী মাঠে প্রবেশের পর পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে হোসেইনি নারী ভক্তকে তার জার্সিটি উপহার দেন। ওই নারীর সঙ্গে আলিঙ্গন করায় ইরানের ফুটবল সংস্থা হোসেইনিকে শৃঙ্খলা কমিটিতে তলব করেছে।  پس از این که سیدحسین حسینی، کاپیتان استقلال، یک جیمی‌جامپ زن را در پایان بازی آلومینیوم-استقلال در آغوش گرفت، یکی از پلیس‌های حاضر در ورزشگاه اراک به او حمله کرد که این حرکت او با حمایت سایر نیروهای پلیس و تلاش اعضای تیم استقلال برای جدا کردن او از دروازه‌بان تیم‌شان همراه شد.… pic.twitter.com/OwaXmHr9vL — ایران اینترنشنال ورزشی (@iranintlsport) April 12, 2024
ফুটবল মাঠে বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিলেন ইরানের এক নারী সমর্থক। তিনি মাঠে দৌড়ে এসে এক ফুটবলারকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।
৫৮ বছর বয়সে ফুটবলে ফিরছেন ব্রাজিলের তারকা
রোমারিও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের কিংবদন্তি। তিনি ২০০৮ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেন। এখন তার বয়স ৫৮ বছর। বুড়ো বয়সেও পেশাদার ফুটবলে ফিরছেন তিনি।  সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে নিজের ছেলের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন পূরণ করতেই মাঠে ফিরছেন রোমারিও। তার ছেলে রোমারিনিওর বয়ষ ৩০ বছর। তিনি খেলেন রিও ডি জেনিরোর ক্লাব আমেরিকার হয়ে। সেখানেই একসঙ্গে দেখা যাবে বাবা-ছেলেকে। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, মাঠে ফিরতে ক্যাম্পেনাতো ক্যারিওকা সিরি-আ টু’তে নাম নিবন্ধন করিয়েছেন রোমারিও। ছেলের সাথে তিনি হয়তো কয়েকটি ম্যাচ খেলবেন। বুড়ো বয়সে মাঠে ফেরা নিয়ে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি বলেন, ‘খুব কম অ্যাথলেট এবং ফুটবলারই নিজের ছেলের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পায়। আমার বয়স ৫৮ বছর হলেও এখনো বেশ ভালো বোধ করছি। খেলার জন্য নিজেকে যথেষ্ট যোগ্য বলেই মনে করি।’ ২০০৮ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরে যাওয়ার আগে ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৭০টি ম্যাচ খেলে ৫৫টি গোল করেছেন। ক্লাব ফুটবলসহ সবমিলে ১০০০-এর বেশি গোল করেছেন রোমারিও। তিনি ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনা, ফ্ল্যামেঙ্গো, ভাসকো দা গামা ও পিএসভিতেও খেলেছেন।
রোমারিও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের কিংবদন্তি। তিনি ২০০৮ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেন। এখন তার বয়স ৫৮ বছর। বুড়ো বয়সেও পেশাদার ফুটবলে ফিরছেন তিনি।
৫ গোলের ম্যাচে বার্সাকে থামিয়ে সেমিতে পিএসজি
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে পিএসজির কাছে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়ে নিজেদের ডেরায় ফিরতি লেগের ম্যাচে বার্সেলোনা। সমীকরণ ছিল প্রায় অসম্ভব ৫-০ ব্যবধানে জিততে হবে।  ম্যাচের ৫০ মিনিটের মধ্যে অবশ্য তিনটি গোল শোধ করে ফেলছিল বার্সা। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই গোল করে বসে পিএসজি।  এবার সেখান থেকে ম্যাচ জিততে হলে করতে হতো আরও তিন গোল। শেষ পর্যন্ত সেই অসাধ্যই সাধন করেছিল তৎকালের লুইস এনরিকের দল। ৬-১ গোলে সেই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল বার্সা।  এবার সাত বছর পর ফিরে ঠিক সেই ম্যাচের বদলা নেয়নি পিএসজি। তবে  সেই ম্যাচটি কাতালানদের মনে করিয়েছে ভালোভাবেই।  তবে কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে— তৎকালের বার্সা কোচ এনরিকে এখন পিএসজির কোচ, বিপরীতে আবার সেই বার্সা।  তাদের বিপক্ষে চলতি আসরে আগের লেগের ম্যাচ ঘরের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে হেরে বসেন ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। এবার ফিরতি লেগের ম্যাচ বার্সার মাঠ, এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে। আগের ম্যাচে জোড়া গোলের পরে গত রাতের এই ম্যাচের শুরুতেই গোল করে বসেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া।  এতে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৪-২। জিততে হলে সেখানে আরও তিনটি গোল করতে হতো পিএসজিকে। তবে পিএসজি করল চারটি। ম্যাচের শেষ এক ঘণ্টা নিজেদের দখলে রেখে ৪-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লুইস এনরিকের বর্তমান দলটি। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ৬-৪ গোলের।  ম্যাচের শুরুর সেই গোলের পর আর কোনো কিছুই ছিল না বার্সার নিয়ন্ত্রণে। চার গোল হজমের সঙ্গে লালকার্ড দেখেছে তিনটি। তবে না তিনটি কার্ড ফুটবলার না, এর মধ্যে দুটি দেখেছে কোচ প্যানেল।  ম্যাচের ২৯তম মিনিটে বারকোলাকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন বার্সা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো। এতে ম্যাচের বাকি ৬০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেন স্বাগতিকরা। পরে যথাক্রমে দুটি লালকার্ড দেখেছেন বার্সার প্রধান কোচ জাভি হার্নান্দেজ ও গোলরক্ষক কোচ রোমান দে লা ফুয়েন্তে।  ১২তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ৪০তম মিনিটে সাবেক বার্সা উইঙ্গার উসমান ডেম্বেলের গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। প্রথমার্ধ শেষ হয় সেই ১-১ সমতায়। এবার দ্বিতীয়ার্ধে চলে পিএসজির দাপট। ৫৪তম মিনিটে ভিতিনহার গোলে ম্যাচেএগিয়ে যান সফরকারীরা। দুই লেগ মিলিয়ে তখন সমতা ৪-৪ গোলের।  এই সমতার পরই বার্সা কোচ প্যানেলের দুজন দেখেন লালকার্ড। সেই যে খেই হারিয়ে বসল বার্সা, পরে আর ফিরতে পারেনি ম্যাচে। ৬১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে এবার দুই লেগের হিসাবে এগিয়ে গেল পিএসজি। পরে ম্যাচের একদম শেষে এসে আরও একটি গোল করেন এমবাপ্পে। তাতেই ৬-৪ ব্যবধানের হার পাকাপোক্ত হয় বার্সার।  এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে আরেক লা লিগার ক্লাব আটলেটিকো মাদ্রিদকে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এই জার্মান ক্লাবের সঙ্গেই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে পিএসজি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে পিএসজির কাছে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়ে নিজেদের ডেরায় ফিরতি লেগের ম্যাচে বার্সেলোনা। সমীকরণ ছিল প্রায় অসম্ভব ৫-০ ব্যবধানে জিততে হবে।
এক ম্যাচে ৩১ গোল খেতে কেমন লেগেছিল, জানালেন সেই গোলকিপার
দুই-চার কিংবা ছয়-সাত গোল হজমও কখনো কখনো গায়ে লাগে না। কিন্তু এক ম্যাচে ৩১ গোল হজম তো আর চাট্টিখানি কথা নয়! সব কিছু ধসে পড়ার মতো অনুভূতি হওয়ার কথা। সেই তিক্ত অনুভূতির মুখোমুখি হয়েছিলেন গোলরক্ষক নিকি সালাপুর।  নিকি সালাপু সে ব্যাপারটাই এভাবে বলেছেন ভদ্র ভাষায়। আসলে কেমন লেগেছিল, সেটিও অবশ্য গোপন রাখেননি। সালাপু সেদিন গোলপোস্টে দাঁড়িয়ে চোখের জল লুকিয়েছেন। সতীর্থরা যেন দেখতে না পান! বার্সেলোনা গোলকিপার মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের একটি উদ্ধৃতি এ ক্ষেত্রে মনে করা যায়, ‘লোকে জানে না, গোলকিপার হওয়া কত কঠিন।’ সালাপু সেদিন সেটিই টের পেয়েছিলেন হাড়ে হাড়ে। প্রতিপক্ষের শক্তির সামনে কুলিয়ে উঠতে না পেরে একের পর এক গোল হজম করেছেন। ধরণী দ্বিধা হও, আমি মুখ লুকাই—এমন অনুভূতি আর কি! তারিখটা ১১ এপ্রিল ২০০১। সেদিন ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকান সামোয়া। কফস হারবারে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আমেরিকান সামোয়া হেরেছিল ৩১-০ গোলে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড এখনো।  এতক্ষণে বুঝে যাওয়ার কথা, সেই ম্যাচে আমেরিকান সামোয়ার গোলকিপার ছিলেন সালাপু। লোকে এখনো নাকি তাকে ম্যাচটি নিয়ে জিজ্ঞেস করে। বিবিসির ‘স্পোর্টিং উইটনেস’ পডকাস্টে সেই ম্যাচ নিয়েই কথা বলেছেন সালাপু। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির জন্য খুব দ্রুত দল গড়তে হয়েছিল আমেরিকান সামোয়াকে। বেশিরভাগই ছিলেন কিশোর বয়সি। আমেরিকান সামোয়ার ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএএস) ফিফায় অন্তর্ভুক্তি পেয়েছিল ম্যাচটি খেলার মাত্র তিন বছর আগে। সেই সময় ১ কোটি ৯০ লাখ অধিবাসীর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৫৮ হাজার জনসংখ্যার আমেরিকান সামোয়া এমনিতেই পুঁচকে ছিল। আর ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে ফিফা জানিয়ে দেয়, শুধু আমেরিকান পাসপোর্টধারীরাই প্রশান্ত মহাসাগরের দেশটির জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ঘোষিত ২০ জনের স্কোয়াডে যোগ্য খেলোয়াড় বাছতে দল উজাড়, টিকেছিলেন শুধু সালাপু। তার ভাষায়, ‘মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে যে কাউকে খুঁজে বের করতে হতো। আমরা হাইস্কুলের ছেলেদের বাছাই করেছিলাম।’ সালাপুর এ কথার ব্যাখ্যা দেবে পরিসংখ্যান। আমেরিকান সামোয়ার দলে ১৫ বছর বয়সি খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল ১৮ বছর। সালাপু সেই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ; তার বয়সই ছিল মাত্র ২০ বছর। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মতো টুর্নামেন্টে এমন দল নিয়ে যা হওয়ার কথা, তা–ই হয়েছিল। প্রথম রাউন্ডে ফিজির কাছে আমেরিকান সামোয়ার হারের ব্যবধান ১৩-০। পরের ম্যাচে সামোয়ার কাছে হার ৮-০ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান তো ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে ৩১-০! ওই ৩ ম্যাচে ৫২ গোল খাওয়ার পর টোঙ্গার কাছে ৫-০ গোলের হার আমেরিকান সামোয়ার কাছে জয়ের সমান হওয়ার কথা! খুব কাছে গিয়েও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠতে ব্যর্থ হওয়া অস্ট্রেলিয়া ২০০২ বিশ্বকাপে জায়গা পেতে মুখিয়ে ছিল। নিজেদের প্রমাণে জিদ কাজ করছিল অস্ট্রেলীয়দের মনে। আমেরিকান সামোয়ার আগে অস্ট্রেলীয়দের সেই জিদের অনলে পুড়েছিল টোঙ্গাও। পলিনেশিয়ান দেশটিকে ২২-০ গোলে গুঁড়িয়ে আমেরিকান সামোয়ার মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সালাপু জানিয়েছেন, তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ‘২২-০ ব্যবধানের হার অতিক্রম করা যাবে না’। গোলবন্যার ‘ফটক’ খুলেছিল ম্যাচের ৮ মিনিটে। অস্ট্রেলিয়ার ২২ বছর বয়সি স্ট্রাইকার আর্চি থম্পসন একাই করেছিলেন ১৩ গোল। ৮ গোল করেন ডেভিড জিদ্রিলিক। সালাপু জানিয়েছেন, পুরো ম্যাচে তিনি সতীর্থদের ‘সামনে এগোতে’ বলেছেন। কারণ তার সতীর্থরা বেশিরভাগ সময়েই রক্ষণভাগে জড়সড় হয়েছিলেন। এ কারণে বল দেখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল সালাপুর। ৮৬ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার পোস্টে একবারই আক্রমণ করতে পেরেছিল আমেরিকান সামোয়া। অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপার মাইকেল পেটকোভিচের ম্যাচে সেটাই একমাত্র সেভ। সালাপু মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া যেভাবে খেলেছে, সেটি অখেলোয়াড় সুলভ।  তার প্রশ্ন, ‘(দুই দলের মধ্যে) পার্থক্য গড়তে আপনার কত গোল প্রয়োজন?’ সালাপু জানিয়েছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ার কোচ হলে দল ২০ গোল করার পর খেলোয়াড়দের ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত বলের দখল ধরে রেখে খেলতে’ বলতেন। হারের সেই স্মৃতি মনে সইয়ে নিতে সালাপুর প্রায় ১০ বছর লেগেছে। এ সময়ের ব্যবধানে আমেরিকান সামোয়া টানা ৩৮ ম্যাচ হেরেছে ২১৭ গোল ব্যবধানে। ফিফা র্যাংকিংয়ে নেমেছে ২০৪তম স্থানেও (বর্তমানে ১৮৯)। ২০১০ সালে ডাচ বংশোদ্ভূত কোচ টমাস রনজেনকে কোচ করে আনে আমেরিকান সামোয়া। পরিস্থিতি এর পর ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর টোঙ্গার মুখোমুখি হয় আমেরিকান সামোয়া।  সালাপু জানিয়েছেন, সে ম্যাচে ‘আমাদের পুরো দল জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল’। শেষ বাঁশি বাজার পর পূরণ হলো সেই প্রত্যাশাও। টোঙ্গাকে ২-১ গোলে হারায় আমেরিকান সামোয়া—ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে সেটাই প্রথম জয় দলটির। সালাপুকে সেদিনও আবেগ সংবরণ করতে হয়েছিল। তার ভাষায়, ‘খুবই ভালো লাগছিল। বারবার মনকে প্রবোধ দিয়েছি, ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখতে আবেগ সামলে রাখতে হবে।’
দুই-চার কিংবা ছয়-সাত গোল হজমও কখনো কখনো গায়ে লাগে না। কিন্তু এক ম্যাচে ৩১ গোল হজম তো আর চাট্টিখানি কথা নয়! সব কিছু ধসে পড়ার মতো অনুভূতি হওয়ার কথা। সেই তিক্ত অনুভূতির মুখোমুখি হয়েছিলেন গোলরক্ষক নিকি সালাপুর।
জিদানের হাত ধরে জার্মান ফুটবলের রাজত্ব পুনরুদ্ধার চায় বায়ার্ন
বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের টানা ১১ বছরের রাজত্বের পতন ঘটেছে এবার। বায়ার্নের সাবেক খেলোয়াড় জাবি আলোনসোর কোচিংয়ে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা উৎসব করেছে বেয়ার লেভারকুসেন।  ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে আগামী মৌসুমে আলোনসোকে তাদের নতুন কোচ হিসাবে নিতে চেয়েছিল বায়ার্ন। কিন্তু আলোনসো লেভারকুসেনে থেকে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় এবার ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের দিকে হাত বাড়িয়েছে বায়ার্ন।  স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, আগামী মৌসুমে জিদানের হাত ধরে জার্মান ফুটবলের রাজত্ব পুনরুদ্ধার করতে চায় বাভারিয়ানরা। মৌসুম শেষে বায়ার্ন ছাড়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন বর্তমান কোচ টমাস টুখেল। ২০২১ সালের জুনে দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর কোচিং থেকে দূরে আছেন জিদান। পিএসজি ও জুভেন্টাসের কোচ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন একাধিকবার। আপাতত ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হওয়ার সুযোগ না থাকায় তিন বছর বিরতির পর আবার নাকি ক্লাব কোচিংয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবার প্রিয় জিজু। বিষয়টি জানতে পেরে জিদানের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা শুরু করেছে বায়ার্ন। এখন ব্যাটে-বলে মিলে গেলে আগামী মৌসুমে বায়ার্নের ডাগআউটে দেখা যাবে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি গ্রেটকে।
বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের টানা ১১ বছরের রাজত্বের পতন ঘটেছে এবার। বায়ার্নের সাবেক খেলোয়াড় জাবি আলোনসোর কোচিংয়ে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা উৎসব করেছে বেয়ার লেভারকুসেন।
ম্যানসিটির মাঠে আগামীকাল রিয়ালের অগ্নিপরীক্ষা
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে ম্যানসিটি, লা লিগার শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। আগামীকাল সিটির ডেরা ইতিহাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের অগ্নিগর্ভ দ্বিতীয় লেগে দেখা হচ্ছে দুই পরাশক্তির। গত সপ্তাহে বার্নাব্যুতে রোমাঞ্চকর প্রথম লেগ ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ায় ফিরতি ম্যাচের আগে সাদা চোখে দুদলই সমান্তরালে। কিন্তু ইতিহাস বলছে ইতিহাদে আজ অগ্নিপরীক্ষা রিয়ালের। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত দেড় বছরে ইতিহাদে হারেনি পেপ গার্দিওলার দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে গত দুই মৌসুমেও দেখা হয়েছিল রিয়াল ও সিটির। ২০২২ সালে রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে বার্নাব্যুতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে প্রত্যাবর্তনের রূপ কথা লিখে শেষ হাসি হাসলেও সিটির মাঠে প্রথম লেগে হেরেছিল রিয়াল। গত বছর বার্নাব্যুতে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ইতিহাদে দ্বিতীয় লেগে রিয়ালকে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ওঠে সিটি। এবার ইতিহাদ-জয়ের অভিযানে রিয়ালের তুরুপের তাস হতে পারেন রদ্রিগো। সিটির বিপক্ষে নিজের দুর্দান্ত রেকর্ডের কারণেই হয়তো ফিরতি ম্যাচে রিয়ালের সমান সুযোগ দেখছেন এই ব্রাজিলীয় উইঙ্গার। বলেছেন, ‘লড়াই পুরো উন্মুক্ত। ইতিহাদে আমাদের জিততেই হবে। সেই বিশ্বাস আমাদের আছে। যারা কম ভুল করবে তারাই যাবে সেমিফাইনালে।’ এদিকে আজ ইতিহাদে রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস, বেলিংহামদের বিপক্ষে নিজেকে নতুন করে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিতে উদ্গ্রীব সিটির গোলমেশিন আর্লিং হলান্ড। এ মৌসুমে ৩৮ ম্যাচে ৩১ গোল করলেও বড় ম্যাচে জ্বলে উঠতে না পারায় তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেকরা। রিয়ালের বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচেই হলান্ড ছিলেন সুপার ফ্লপ। কোচ গার্দিওলার বিশ্বাস, আজ সিটিকে জিতিয়ে সমালোচনার দাঁতভাঙা জবাব দেবেন হলান্ড। মিউনিখে শেষ আটের আরেক হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্সেনাল ও বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় এখানেও লড়াই উন্মুক্ত। ফিরতি ম্যাচের আগে দুদলই খেয়েছে বড় ধাক্কা। এ সপ্তাহেই সিটির কাছে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষস্থান হারিয়েছে আর্সেনাল। আর ১১ বছর পর বুন্দেসলিগার রাজত্ব হারিয়েছে বায়ার্ন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে ম্যানসিটি, লা লিগার শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। আগামীকাল সিটির ডেরা ইতিহাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের অগ্নিগর্ভ দ্বিতীয় লেগে দেখা হচ্ছে দুই পরাশক্তির।
এভারটনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল চেলসি, পালমারের ৪
মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই পূরণ করলেন হ্যাটট্রিক, এরপর করলেন আরও ১ গোল। কোল পালমারের দানবীয় পারফরম্যান্সে এভারটনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। সোমবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে ২১ বয়সি পালমার বলতে গেলে এভারটনকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন। ইংল্যান্ডের এই তরুণ ১৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন বাঁ পায়ের জাদুকরী শটে। ১৮ মিনিটের মাথায় পালমার দ্বিতীয় গোল করেন হেডে, আর তৃতীয় গোল করেন ২৯ মিনিটে; ডান পায়ের শটে। ৬৪ মিনিটে সর্বশেষ গোলটি করেন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টিতে। এভারটনের বিপক্ষে ৪ গোলের সুবাদে চলতি মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ হয়ে গোলদাতা হয়েছেন পালমার। তার সমান ২০ গোল করেন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে মোট ২৩ গোল করলেন পালমার। এর ফলে গত ৫ বছরের মধ্যে চেলসির প্রথম কোনো খেলোয়াড় এক মৌসুমে ২০ গোল করার কীর্তি গড়লেন। তার আগে ২০১৮-১৬ মৌসুমে ২০ গোলের রেকর্ড করেছিলেন ইডেন হ্যাজার্ড। চেলসির হয়ে বাকি গোল দুটি করেন নিকোলাস জ্যাকসন; ৪৪ মিনিটে এবং বদলি খেলোয়াড় আলফি গিলক্রিস্ট; ৯০ মিনিটে। ৩১ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের ৯ম স্থানে আছে চেলসি। আর ৩২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নিচের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে আছে এভারটন।
মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই পূরণ করলেন হ্যাটট্রিক, এরপর করলেন আরও ১ গোল। কোল পালমারের দানবীয় পারফরম্যান্সে এভারটনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি।
যে কারণে মেসির ছেলের গোলের ভিডিও ভাইরাল
আর্জেন্টিনার তরুণ প্রতিভাবান প্রায় সব ফুটবলারকেই এখন ‘নতুন মেসি’ শব্দযুগল দিয়ে অভিহিত করা হয়। তবে ব্রাজিলের উঠতি তারকা এস্তেভাও উইলিয়ানকে সেখানে আদর করে মানুষ ডাকতে শুরু করেছে মেসিনিও বা ছোট মেসি বলে। ব্রাজিলের ১৬ বছর বয়সি কিশোরের খেলার ধরন নাকি একদমই মেসির মতো। এ কারণেই তাকে এমন নামে ডাকা। তবে এবার ‘আসল ছোট মেসি’কেই বুঝি পেয়ে গেছে ফুটবল বিশ্ব। সেই আসল ছোট মেসি আর কেউ নয়, লিওনেল মেসির মেজ ছেলে মাতেও। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে খেলছেন মেসি। স্বাভাবিকভাবেই তার তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও আর চিরোও ক্লাবটির একাডেমিতে নাম লিখিয়েছে। ইন্টার মিয়ামির বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলছে তারা। ইন্টার মিয়ামির বয়সভিত্তিক দলের সে রকমই এক ম্যাচে মাতেও পুরো ফুটবল বিশ্বেরই নজর কেড়েছে। মিয়ামির অনূর্ধ্ব–৯ দলের হয়ে খেলা সেই ম্যাচে মাতেও একাই করেছে ৫ গোল। সেই ম্যাচে মাতেওর খেলার ভিডিও দেখে যে কেউ হয়তো বলবে, এ তো দেখি একদম মেসির মতো! মেসির ট্রেডমার্ক ফ্রি–কিকের মতো ফ্রি–কিক থেকেও একটি গোল করেছে মাতেও। বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো সেই ফ্রি–কিকের গোল দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। ভিডিও একটি গোলের পর তো বাবার বিখ্যাত উদ্যাপনও করেছে মাতেও। গোল করে সে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে গ্যালারির দিকে ছুড়ে দিয়েছে উড়ন্ত চুমো। মেসির সঙ্গে মাতেওর অমিল হয়তো একটিই-মেসি বাঁ পায়ের খেলোয়াড় আর মাতেও ডান পায়ের। ফ্রিক–কিকসহ ৫টি গোলই মাতেও করেছে ডান পায়ে। মেসির ছেলেদের ফুটবল মাঠের কীর্তির জন্য ভাইরাল হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ১১ বছর বয়সি থিয়াগো মাঠে তার ফুটবল দক্ষতা দেখিয়ে ভাইরাল হয়েছে। এ মাসের শুরুর দিকে ইস্টার ইন্টারন্যাশনাল কাপে দুর্দান্ত এক গোল করে মিয়ামির অনূর্ধ্ব–১২ দলকে শিরোপা জিতিয়েছে সে।
আর্জেন্টিনার তরুণ প্রতিভাবান প্রায় সব ফুটবলারকেই এখন ‘নতুন মেসি’ শব্দযুগল দিয়ে অভিহিত করা হয়। তবে ব্রাজিলের উঠতি তারকা এস্তেভাও উইলিয়ানকে সেখানে আদর করে মানুষ ডাকতে শুরু করেছে মেসিনিও বা ছোট মেসি বলে। ব্রাজিলের ১৬ বছর বয়সি কিশোরের খেলার ধরন নাকি একদমই মেসির মতো। এ কারণেই তাকে এমন নামে ডাকা।
কোনো দোষ খুঁজে না পাওয়ায় স্বামীকে তালাক
ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ছিলেন কাকা। ব্রাজিলের এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার তার গতি, ড্রিবলিং ক্ষমতা এবং গোল করার দক্ষতার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন কাকা। খেলেছেন ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপেও।  ২০০৫ সালে সাও পাওলোতে ছোটবেলার বন্ধু ক্যারোলিন সেলিকোকে বিয়ে করেছিলেন কাকা। ব্যক্তিগত জীবনে ছোটবেলার বন্ধুকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছিলেন কাকা। তার জীবনের সবকিছুই পারফেক্ট ছিল। কিন্তু এই পারফেকশনের জন্যই নাকি ধীরে ধীরে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। আর তারপর বিবাহবিচ্ছেদ। ১০ বছর একসঙ্গে সংসার করার পর তারা বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। ২০১৫ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন কাকা ও ক্যারোলিন সেলিকো। সম্প্রতি বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন সেলিকো। বিচ্ছেদের কারণ প্রসঙ্গে সেলিকো জানান, ‘কাকা কখনই আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি, তিনি আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছেন। তিনি আমাকে একটি চমৎকার পরিবার দিয়েছেন। কিন্তু আমি খুশি ছিলাম না, কিছু অনুপস্থিত ছিল। সমস্যাটি ছিল, তিনি আমার জন্য খুব নিখুঁত ছিলেন।’ কাকা ও সেলিকো দুই জনেই ফের নতুন মানুষের সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। ২০১৯ সালে কাকা ব্রাজিলিয়ান মডেল ক্যারোলিনা ডায়াসের সঙ্গে এনগেডমেন্টের ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ক্যারোলিন ২০২১ সালে এডুয়ার্ডো স্কারপা জুলিয়াওকে বিয়ে করেন। কাকা তার কেরিয়ারে এসি মিলান এবং রিয়াল মাদ্রিদের মতো শীর্ষ ইউরোপীয় ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। ২০১৭ সালে অবসর নেন।
ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা ছিলেনকাকা। ব্রাজিলের এইআক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার তারগতি, ড্রিবলিং ক্ষমতা এবং গোল করার দক্ষতার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন। ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন কাকা। খেলেছেন ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপেও।
নতুন কীর্তি গড়ে জুভেন্টাসের পাশে লেভারকুসেন
দুর্দান্ত একটি মৌসুম পার করছে বায়ার লেভারকুসেন। মাঠের ফুটবলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানোর সঙ্গে গড়েছে নতুন নতুন সব কীর্তি। এবার আরেকটি কীর্তি ছুয়ে জুভেন্টাসের পাশে জার্মান ক্লাবটি। ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে এতদিন এক মৌসুমে টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড এককভাবে দখলে ছিল জুভেন্টাসের। তাদের সেই রেকর্ডেই ভাগ বসিয়েছে লেভারকুসেন।  বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগে ওয়েস্ট হামকে ২-০ গোলে হারিয়ে চলতি মৌসুমে টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার অবিশ্বাস্য যাত্রা অব্যাহত রেখেছে জাবি আলোনসোর দল। ২০১২-১৩ মৌসুমে ৪২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি গড়েছিল জুভেন্টাস। গত সপ্তাহে বার্লিনের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে বুন্দেসলিগায় টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বায়ার্ন মিউনিখের রেকর্ড ছুয়েছিল লেভারকুসেন। আগামীকাল রোববার ভার্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে জয় পেলেই প্রথমবার বুন্দেসলিগা শিরোপাও ঘরে তুলবে জার্মান ক্লাবটি। পাশাপাশি দুটি রেকর্ড নিজেদের করে নিবে আলোনসোর দল।
দুর্দান্ত একটি মৌসুম পার করছে বায়ার লেভারকুসেন। মাঠের ফুটবলে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানোর সঙ্গে গড়েছে নতুন নতুন সব কীর্তি। এবার আরেকটি কীর্তি ছুয়ে জুভেন্টাসের পাশে জার্মান ক্লাবটি।
জীবনে কী বেশি গুরুত্বপূর্ণ, জানালেন সানিয়া মির্জা
ভারতের কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা বলেছেন, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি, খ্যাতি-সম্মান জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নয়। এগুলো ভোগ বিলাসের একটি অংশ মাত্র। আসলে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবনের কঠিন সময়ে যে আপনার পাশে থাকবে সে। এক সাক্ষাত্কারে সানিয়া বলেন, আমি মনে করি বাস্তবতার সংস্পর্শে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমার শরীরও একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তিনটি অস্ত্রোপচারের পরে এক ছেলে আগলে রাখা আমার জন্য সমস্যা হচ্ছে। সানিয়া আরও বলেন, লোকেরা দেখবে যে আপনি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে আছেন। কিন্তু তারা বুঝতে পারবেনা যে ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে কী পরিমান পরিশ্রম করতে হয়েছে।  গত ১০ বছরে নিজের পরিবর্তন নিয়ে টেনিস তারকা বলেন, আমি মনে করি আপনি যখন মা হবেন, আপনার জন্য ধৈর্য ধরা ছাড়া আর কোন সমাধান নেই। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে আমি যে শিক্ষা পেয়েছি, তা আমি পৃথিবীর কোনো বই থেকে শিখতে পারব বলে মনে হয় না। আপনি জানেন আপনার খারাপ এবং ভালো দিন আছে, আপনি জিতেছেন এবং আপনি হেরেছেন কিন্তু আপনি আবার চেষ্টা করেছেন এবং আপনি আপনার চেয়ে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছেন।  পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিকের সাবেক স্ত্রী সানিয়া মির্জা বলেন, একই জিনিস জীবনে প্রয়োগ করা যেতে পারে যেভাবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমার জীবনে প্রয়োগ করেছি। জীবনে ভালো মন্দ সময় যাবেই। খারাপ সময়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ভালো দিক থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।  ২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা। গত জানুয়ারিতে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় সানিয়া-শোয়েব মালিকের দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসার জীবন। তাদের ৫ বছর বয়সি ইজহান নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ভারতীয় টেনিস সুন্দরীকে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। তারপরই জানা যায় সানিয়ার সঙ্গে আগেই ডিভোর্স হয়েছে শোয়েব মালিকের।
ভারতের কিংবদন্তি টেনিস তারকাসানিয়া মির্জা বলেছেন, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি, খ্যাতি-সম্মান জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসনয়। এগুলো ভোগবিলাসের একটি অংশ মাত্র। আসলেগুরুত্বপূর্ণ হলো জীবনেরকঠিন সময়ে যে আপনার পাশে থাকবে সে।
শোয়েবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর যেমন কাটলো সানিয়া মির্জার ঈদ
টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী সানা জাভেদের গলায় মালা দিয়েছেন শোয়েব মালিক। তাদের বিচ্ছেদের পর এবার প্রথম ঈদ উযাপন করছেন সানিয়া মির্জা। বৃহস্পতিবার সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম ঈদ আল-ফিতরের শুভ উপলক্ষ্যে তার পরিবারের সঙ্গে কিছু সুন্দর ছবি শেয়ার করেছিলেন।  সানিয়া তার পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে হায়দ্রাবাদে উড়ে যান। মির্জা পরিবার, যার মধ্যে সানিয়া, তার ছেলে, ইজহান, আনাম মির্জা এবং তার স্বামী, মোহাম্মদ আসাদুদ্দিন। তাদের মেয়ে, দুয়া, বাবা-মা, ইমরান মির্জা এবং নাসিমা মির্জা। এই অনুষ্ঠানের জন্য একটি বড় সুখী পরিবার হিসাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।  সানিয়া তার পোস্টের ক্যাপশন লিখেছেন- আমাদের পক্ষ থেকে সাবাইকে ঈদ মোবারক। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল হায়দরাবাদে বিয়ে করেছিলেন সানিয়া এবং শোয়েব। বিয়ের এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তান থেকে বরের বাড়ির লোকেরা চলে এসেছিল ভারতে। সেসময়ই প্রথম স্ত্রীর দাবি নিয়ে হাজির হন আয়েশা। জানান, শোয়েবের সঙ্গে তার বিয়ের কথা। বিষয়টি স্বীকার করে নেন শোয়েব মালিক। দাবি করেন, তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। পরে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেখানে আইনি বিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জার গলায় মালা দেন এই তারকা। এরপর দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসারে বিচ্ছেদ টেনে সম্প্রতি সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন শোয়েব মালিক।
টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী সানা জাভেদের গলায় মালা দিয়েছেন শোয়েব মালিক। তাদের বিচ্ছেদের পর এবার প্রথম ঈদ উযাপন করছেন সানিয়া মির্জা।
‘প্যারিস অলিম্পিকে আমার সেরা টেনিস খেলতে চাই’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শিরোপা রেকর্ড ১০টি, টেনিস ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড। আরও কত রেকর্ড-অর্জনে সমৃদ্ধ নোভাক জোকোভিচের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। তবে একটি অপূর্ণতা রয়েই গেছে তার। এখনো যে অলিম্পিকে সোনা জিততে পারেননি তিনি। এ বছরের প্যারিস অলিম্পিকে সেই স্বপ্ন পূরণে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে চান সার্বিয়ান তারকা। সোনা জয় তো দূরে থাক, এখন পর্যন্ত চারবার অলিম্পিকে অংশ নিয়ে কোনোবার ফাইনালেই খেলতে পারেননি জোকোভিচ। প্রথমবার তিনি অলিম্পিকে অংশ নেন ২০০৮ সালে। বেইজিংয়ের সেমিফাইনালে রাফায়েল নাদালের কাছে হারের পর ব্রোঞ্জ জিততে পারেন তিনি। এরপর তিনবার অলিম্পিকে খেলতে গিয়ে তিনি দুবার হেরে যান ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে তো বিদায় নেন প্রথম রাউন্ড থেকেই। ৩৬ বছর বয়সি জোকোভিচের কাছে এখন তাই প্যারিস অলিম্পিক গুরুত্ব পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বলেছেন, ‘প্যারিস অলিম্পিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অলিম্পিক সব সময়ই আমার কাছে অগ্রধিকার ছিল। কিন্তু গত তিন বা চারটি অলিম্পিকে আমার পক্ষে শেষ ধাপে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি এখন একটু ভিন্ন। ক্লে কোর্টে প্রথমবার আমরা অলিম্পিকে খেলব। শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে চাই আমি।’ প্যারিস অলিম্পিকে টেনিসের আসর বসবে ফরাসি ওপেনের ঐতিহ্যবাহী ভেন্যু রোলাঁ গারোঁতে। ফরাসি ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। আগামী ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত হবে ক্লে কোর্টের এই টুর্নামেন্ট। জুলাইয়ের শেষ দিকে হবে অলিম্পিক। এই দুই ইভেন্টের মাঝে আছে উইম্বলডন। বছরের তৃতীয় এই গ্র্যান্ড স্লামের শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য জোকোভিচের। তবে নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চান তিনি অলিম্পিকে, ‘প্যারিসের জন্য আমার সেরা অবস্থায় থাকতে চাই, সেখানেই আমার সেরা টেনিস খেলতে চাই। অন্য যে কোনো কিছু বোনাস। তাই দেখা যাক, কী হয়।’
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শিরোপা রেকর্ড ১০টি, টেনিস ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড। আরও কত রেকর্ড-অর্জনে সমৃদ্ধ নোভাক জোকোভিচের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। তবে একটি অপূর্ণতা রয়েই গেছে তার।
‘মানুষ অভিনেতাদের চেয়ে ক্রিকেটারদের বেশি সম্মান করে, তাদের এমন করা অনুচিত’
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা। গত জানুয়ারিতে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় সানিয়া-শোয়েব মালিকের দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসার জীবন। তাদের ৫ বছর বয়সি ইজহান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ভারতীয় টেনিস সুন্দরীকে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। তারপরই জানা যায় সানিয়ার সঙ্গে আগেই ডিভোর্স হয়েছে শোয়েব মালিকের। তবে সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে থেকে সানা জাভেদের সঙ্গে রসালো মেসেজ দিতেন শোয়েব মালিক। এমনটি জানিয়েছেন সানা জাভেদ নিজেই। গত ২০ জানুয়ারি উর্দু টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থিত শোয়েব মালিক ও ও সানা জাভেদ তাদের বিয়ের খবর ফাঁস করেন। পাশাপাশি বিয়ের বা নিকাহর প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন ছবিও প্রকাশ্যে এনেছেন তারা। তারপরও অতীতের কুকীর্তি শোয়েব মালিক কিংবা তার নতুন স্ত্রী সানা জাভেদ কারো পিছু ছাড়ছে না। এবার পাকিস্তানি অভিনেত্রী নাওয়াল সাইদ পাকিস্তানের একটি চ্যাট শোয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের থেকে একাধিকবার রসালো মেসেজ পেয়েছেন। তিনি বিবাহিত পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের থেকেও এমন মেসেজ পেয়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের এমন করাটা ঠিক না। কারণ মানুষ অভিনেতাদের থেকেও ক্রিকেটারদের বেশি সম্মান করেন। যাদের লোকজন এমন সম্মান করেন, তাদের এ ধরনের কাজ করাটা অনুচিত।’ সঞ্চালকরা নাওয়ালকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি কি শোয়েব মালিকের দিকে ঈশারা করছেন? জবাবে ওই অভিনেত্রী শুধু হেসে জানান, নামটা ঠিক মনে নেই।
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা। গত জানুয়ারিতে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়।
ভোটের ময়দানে সানিয়া?
ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হায়দরাবাদ থেকে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে সাবেক টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে কংগ্রেস। ভারতের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল। সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় আজহারের ছেলে মোহাম্মদ আসাদুদ্দিনের। আজহারউদ্দিন সম্প্রতি তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে হেরে যান।
ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হায়দরাবাদ থেকে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে সাবেক টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে কংগ্রেস। ভারতের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল। সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক ও কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন।
‘ইন্ডিয়ান অব দ্য ইয়ার’ হলেন সানিয়া মির্জা
নতুন সম্মাননায় ভূষিত হলেন কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। হলেন ‘ইন্ডিয়ান অব দ্য ইয়ার’।  এনডিটিভির এ পুরস্কার হাতে ফেসবুকপোস্টে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন সানিয়া। ক্যাপশনে লিখেছেন, বছরের সেরা ভারতীয় নারীর সম্মান পেলাম।  সাধারণত বিশেষ অর্জনের জন্য দেশটির নারীদের এ পুরস্কার প্রদান করে থাকে এনডিটিভি। এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিভাবান ভারতীয়দের সম্মানিত করা। ইন্ডিয়াকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেন এবং সমাজের ভিত্তিকে মজবুত করতে ভূমিকা রাখেন  এমন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং বিনোদনকারীদের দেওয়া হয় এনডিটিভির ‘ইন্ডিয়ান অফ দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ডস।  ২০০৫ সাল থেকে দেওয়া হয় এ পুরস্কার। জাতির অগ্রগতিতে নিবেদিত ব্যক্তি ও সংস্থাকে সম্মান জানানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে এটি।  এ বছর সানিয়া মির্জার পাশাপাশি এতে ভূষিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, স্কোয়াড্রন লিডার নিকিতা মালহোত্রা, নয়না লাল কিদোয়াই, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য, ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
নতুন সম্মাননায় ভূষিত হলেন কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। হলেন ‘ইন্ডিয়ান অব দ্যইয়ার’।
প্রেমিক হারালেন টেনিস তারকা সাবালেঙ্কা
বেলারুশের সাবেক আইস হকি খেলোয়াড় কনস্টানটিন কোল্টসভ ৪২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী এরিনা সাবালেঙ্কার প্রেমিক।  ২০০২ ও ২০১০ সালে বেলারুশের হয়ে অলিম্পিকে খেলেছিলেন কনস্টানটিন। তার হঠাৎ মৃত্যুর খবর জানিয়েছে রাশিয়ার ক্লাব সালাভত ইউলেভ। সাবালেঙ্কাও বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়।  বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক ছিল কনস্টানটিন ও সাবালেঙ্কার। সালাভত ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের ক্লাবের কোচ কনস্টানটিন কোল্টসভের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণোচ্ছল মানুষ ছিলেন তিনি। খেলোয়াড়দের কাছেও প্রিয় ছিলেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’ বরফের ওপর দ্রুতগতির জন্য বিখ্যাত ছিলেন কনস্টানটিন। খেলোয়াড় হিসাবে সালাভতের হয়ে রাশিয়ান সুপার লিগ জিতিয়েছিলেন দলকে। কোচ হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন সেই ক্লাবেই। ২০২১ সালের জুন মাস থেকে সাবালেঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কনস্টানটিনের। প্রায়ই তাদের একসঙ্গে দেখা যেত। কনস্টানটিনের এর আগেও একটি সম্পর্ক ছিল। তিন সন্তান রয়েছে তার।
বেলারুশের সাবেক আইস হকি খেলোয়াড় কনস্টানটিন কোল্টসভ ৪২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী এরিনা সাবালেঙ্কার প্রেমিক।
প্রিয়দের সঙ্গে সানিয়া মির্জা
ভারতের সাবেক কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি কনসার্টে অংশ নিয়েছেন।  সেখানে পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলাম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।  গত ২ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফিরদৌস অর্কেস্ট্রায় পারফর্ম করেন আতিফ। তখন তাদের সাক্ষাৎ হয়।  আতিফ আসলাম ও তার স্ত্রী সারা ভারওয়ানার সঙ্গে তোলা একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন সানিয়া মির্জা।  ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আমার প্রিয়দের সঙ্গে।  ৩৭ বছর বয়সি সানিয়া নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কনসার্টের একটি অংশ শেয়ার করেছেন।  যেখানে আতিফ আসলামকে মঞ্চে তার বহুল প্রিয় গান 'ওহ লামহে ওহ বাতেঁ' গাইতে দেখা যায়।
ভারতের সাবেক কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি কনসার্টে অংশ নিয়েছেন। সেখানে পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলাম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
নারীদের সাহস দিলেন সানিয়া, কী বললেন?
ভারতীয় কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার হাত ছেড়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদের হাত ধরেছেন শোয়েব মালিক। সানিয়া ও শোয়েবের ছেলে ইজহান থাকেন সানিয়ার কাছেই। শোয়েবের নতুন সম্পর্কে জড়ানোর পর সানিয়া কেমন আছেন তা ফুটে উঠছে তার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে। এবার নতুন করে আরেকটি পোস্ট করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে একই পোশাক পরে চারটি ছবি পোস্ট করেছেন সানিয়া। ছবিতে প্যাস্টেল-থিমযুক্ত টু পিস পোশাকে ও ঝরঝরে খোঁপায় বাঁধা চুলে চটকদার দেখাচ্ছিল। ৩৭ বছর বয়সি এই তারকা হালকা মেকআপ করেছিলেন। কানে ছিল এক জোড়া ঝুলন্ত দুল, একটি ঘড়ি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক অলংকারও পরেছেন তিনি। এই সেলিব্রিটির পায়ে একজোড়া হিল এবং হাতে একটি ছোট হ্যান্ডব্যাগ ছিল। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, চিন আপ প্রিন্সেস, নয়তো তোমার মুকুট পিছলে যাবে।  এই বাক্যাংশটি সানিয়ার নিজের জন্য নয়, সমস্ত মেয়ে এবং মহিলাদের জন্য ছিল যাতে তারা জীবনের কঠিন মুহুর্তে দুর্বল বা ভেঙে না পড়ে।
ভারতীয় কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার হাত ছেড়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদের হাত ধরেছেন শোয়েব মালিক। সানিয়া ও শোয়েবের ছেলে ইজহান থাকেন সানিয়ার কাছেই। শোয়েবের নতুন সম্পর্কে জড়ানোর পর সানিয়া কেমন আছেন তা ফুটে উঠছে তার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে। এবার নতুন করে আরেকটি পোস্ট করেছেন তিনি।
কিছু অভিজ্ঞতা জীবনকে পালটে দেয়: সানিয়া
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা।  সম্প্রতি হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় সানিয়া-শোয়েব মালিকের দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসার জীবন। তাদের ৫ বছর বয়সি ইজহান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ভারতীয় টেনিস সুন্দরীকে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। তারপরই জানা যায় সানিয়ার সঙ্গে আগেই ডিভোর্স হয়েছে শোয়েব মালিকের। পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে একান্ত আলাপে সানিয়া মির্জা এর আগে বলেছিলেন, ‘পরিবার ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে গিয়ে শোয়েব মালিককে বিয়ে করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে শোয়েবকে বিয়ে করা আমার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এখন আক্ষেপ করতে হচ্ছে।’ শুক্রবার সকালে সানিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লেখেন- ‘জীবনে এমন কিছু ঘটে যা সম্পর্কে বাইরের মানুষজনের কোনো ধারণা থাকে না। এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় যে, জীবন পালটে যায়। আমরা ভাঙি, গড়ি এবং শিখি কিভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠব। তাই কেউ যদি তোমার কোনো একটা বিষয় দেখে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাহলে সেটাকে পাত্তা না দেওয়াই ভালো। মনে রাখতে হবে কিভাবে তুমি সব ঝড় সামলে এগিয়ে চলেছ। অন্যরা সেগুলো জানে না। কাউকে কিছু প্রমাণ করার নেই। ঝড় সামলে নিজেকে প্রমাণ তুমি করে দিয়েছ। সেটাই আসল।’ আরও পড়ুন >> জীবনের ম্যাচে হেরে গেলেন ‘টেনিস সুন্দরী’! >> ‘পরিবারের মতের বিরুদ্ধে শোয়েবকে বিয়ে করে এখন আক্ষেপ হচ্ছে’ >> ছেলেকে নিয়ে পাকিস্তানে ‘শ্বশুরবাড়িতে’ যাবেন সানিয়া
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা।
তবে কি ‘নতুন শুরু’র ইঙ্গিত দিলেন সানিয়া
সম্পর্ক বোঝা হয়ে দাঁড়ালে, তা ভেঙে ফেলাই ভালো। দাম্পত্যে তৃতীয়জনের প্রবেশ ঘটলে আবার আগন্তুক হওয়াই উত্তম। শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জা বিষণ্নতার অরণ্যে বেশিদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখেননি।  কোনো চপল তরুণীর মতো উচ্ছ্বল-উজ্জ্বল আবারও ভারতের টেনিস সুন্দরী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একগুচ্ছ ছবি এবং একটি পোস্ট ঘিরে উড়ছে জল্পনার প্রজাপতি। সহাস্য সুশ্রী সানিয়া লিখেছেন, ‘সব কিছুই সম্ভব।’  সিল্কের গোলাপি শার্ট এবং ক্রিম ট্রাউজার্সে সানিয়াকে দেখাচ্ছে ঝলমলে রোদের মতো। তবে কি এই ছবি তার ‘নতুন শুরু’র ইঙ্গিত। আবার বিয়ে করছেন সানিয়া? সব কিছুই যে সম্ভব!
সম্পর্ক বোঝা হয়ে দাঁড়ালে, তা ভেঙে ফেলাই ভালো। দাম্পত্যে তৃতীয়জনের প্রবেশ ঘটলে আবার আগন্তুক হওয়াই উত্তম। শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সানিয়া মির্জা বিষণ্নতার অরণ্যে বেশিদিন নিজেকে লুকিয়ে রাখেননি।
৬০ বছর পর যে কারণে পাকিস্তান যাচ্ছে ভারতীয় দল
বারবার আবেদন করেও টুর্নামেন্ট সরানো যায়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে ৬০ বছর পরে ডেভিস কাপে খেলতে পাকিস্তানে যাচ্ছে ভারতীয় দল।  টেনিস প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পাকিস্তান সফরে যাওয়া প্রসঙ্গে ভারতীয় টেনিস সংস্থার সচিব অনিল ধুপর বলেন, ‘আমাদের আবেদন খারিজ হয়েছে। তাই আমরা যেতে বাধ্য হচ্ছি। যদি অন্য কোনো দেশে খেলা হতো তাহলে ভালো হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তারপরও আমাদের যেতে হচ্ছে। তার কারণ, ডেভিস কাপ হলো টেনিসের বিশ্বকাপ। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রতিযোগিতা ছেড়ে দেওয়া যায় না।’ ধুপর বলেন, ‘যদি আমরা খেলতে না যেতাম তাহলে দেশের টেনিস খেলোয়াড়দের শাস্তি দেওয়া হতো। টেনিস সংস্থাকে শাস্তি দেওয়া হতো। তাতে এত বছরে টেনিস যতটা এগিয়েছে তা মাঠে মারা যেত। দেশের টেনিসকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ আমাদের অনুমতি দেওয়ার জন্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টেনিস সংস্থা সুরক্ষার বিষয়টি দেখছে। ওরা জানিয়েছে, আমাদের খেলোয়াড়দের কোনো সমস্যা হবে না। খেলোয়াড়রাও তৈরি। আমরা পাকিস্তানে গিয়ে ওদের হারিয়ে আসব।’
বারবার আবেদন করেও টুর্নামেন্ট সরানো যায়নি। যে কারণে বাধ্য হয়ে ৬০ বছর পরে ডেভিস কাপে খেলতে পাকিস্তানে যাচ্ছে ভারতীয় দল।
ইনস্টাগ্রাম থেকে শোয়েবের নাম সরিয়ে নিলেন সানিয়া মির্জা
কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার হাত ছেড়ে পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের হাত ধরেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক শোয়েব মালিক। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ের ছবিও পোস্ট করেন শোয়েব। এরপরই তাদের নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে ওঠে। এবার সানিয়া মির্জা তার ইনস্টাগ্রামের বায়ো থেকে শোয়েব মালিকের নাম সরিয়ে নিলেন। সেখানে দেখা যায়, দম্পতি (স্পাউস) হিসেবে আর শোয়েব মালিকের নাম নেই। তবে সেখানে অবশ্য সানিয়ার বাবা-মা, ভাইবোনের পরিচয় ও পেশাগত পরিচয় আছে। তবে শোয়েবের নাম সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইনস্টাগ্রামের সানিয়া মির্জার পরিচয়েও শোয়েবের নাম পাওয়া যায়নি। এর আগে শোয়েব মালিক সানার সঙ্গে ছবি প্রকাশ করার পর সানিয়ার বাবা জানিয়েছেন, শোয়েবের কাছ থেকে খুলা তালাক নিয়েছেন সানিয়া মির্জা।  পাকিস্তানের গণমাধ্যম বলছে, সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে থাকাবস্থায়ও সানার সঙ্গে টানা তিন বছর পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন শোয়েব মালিক। সানিয়া মির্জা ও তার পরিবার এমনকি মালিকের পরিবারও গত বছর সানার সঙ্গে শোয়েবের প্রেমের বিষয়টি জানতে পারেন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও মালিক কারও কথা শোনেননি। আরও পড়ুন: >>ট্রলের শিকার শোয়েব মালিকের নতুন স্ত্রী সানা
কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার হাত ছেড়ে পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের হাত ধরেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক শোয়েব মালিক।
শোয়েবের বিয়ের পর প্রথম পোস্ট সানিয়ার, কী লিখলেন টেনিস সুন্দরী
পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েব মালিকের বিয়ের পর ইনস্টাগ্রামে প্রথম পোস্ট দিয়েছেন ভারতের সাবেক টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এক শব্দের ক্যাপশন দিয়ে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিশ্চিত হওয়ার পর এটিই ছিল সানিয়ার প্রথম ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারি সানা জাভেদের সঙ্গে নিজের বিয়ের ছবি পোস্ট করেন শোয়েব। তারপর থেকেই চুপ ছিলেন সানিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ ছিল। এক্স প্ল্যাটফর্মে (আগের টুইটার) অস্ট্রেলিয়ান ওপেন সম্পর্কিত পোস্টগুলিতেও তেমন কোনো কার্যক্রম নেই, যেখানে তিনি রয়েছেন সম্প্রচারকের দায়িত্বে। ‘মিরর সেলফি’তে সানিয়ার চুলে বেণী বাঁধা। গ্রে রঙের টি-শার্ট। সঙ্গে ডেনিম জ্যাকেট। চোখ আটকাচ্ছে ঠোঁটের ন্যুড লিপস্টিকে। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘রিফলেক্ট’। মজার ব্যাপার হলো, শোয়েবের বিয়ের ঘোষণার কয়েকদিন আগে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করেন সানিয়া। ‘অনেক কঠিন, ডিভোর্স অনেক কঠিন' আপনার কঠিন সিদ্ধান্ত বেছে নিন। স্থূলতা কঠিন, ফিট থাকা কঠিন, আপনার কঠিন সিদ্ধান্ত বেছে নিন। ঋণগ্রস্ত থাকা কঠিন, আর্থিকভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়া কঠিন, আপনার কঠিন সিদ্ধান্ত বেছে নিন’, লিখেছিলেন তিনি। আর শোয়েব বিয়ে করার ঘোষণার পরই সানিয়ার পরিবারের তরফে জানানো হয়, একাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সানিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছেন পাক ক্রিকেটার। শুধু তাই নয়, জানানো হয় তিনিই খুলা চেয়েছিলেন। ইসলামে কোনো নারী যখন স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চান, তাকে খুলা বলে।  বরাবরই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন সানিয়া। মির্জার পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিনি শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। তার জীবনের এই সংবেদনশীল সময়ে, সমস্ত ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কোনো অনুমানে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধও জানায় পরিবার। এবং তার গোপনীয়তাকে সম্মান করার জানানোর অনুরোধ করা হয়। ২০১০ সালের এপ্রিলে ভারতীয় খেলোয়াড় তার নিজ শহর হায়দরাবাদে বিয়ে করেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে। বছরখানেক ধরেই তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন ঘিরে গুজব ও জল্পনা-কল্পনার চলছিল। তবে দু’ পক্ষই ছিলেন নীরব। শোয়েব ৩৭ বছর বয়সি সানিয়াকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করলে এই গুঞ্জন আরও জোরদার হয়। আপাতত শোয়েব ও সানিয়ার ৫ বছরের ছেলে ইজহান থাকছেন মায়ের সঙ্গে, দুবাইয়ের বাড়িতে।
পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েব মালিকের বিয়ের পর ইনস্টাগ্রামে প্রথম পোস্ট দিয়েছেন ভারতের সাবেক টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এক শব্দের ক্যাপশন দিয়ে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিশ্চিত হওয়ার পর এটিই ছিল সানিয়ার প্রথম ইনস্টাগ্রাম পোস্ট।
কেন ছেলেকে দুবাই থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনলেন সানিয়া
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে গেলেও এখনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সানিয়া মির্জার। পাঁচ বছর বয়সি ছেলে ইজহানকে নিয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন ভারতের সাবেক এই টেনিস তারকা। পাকিস্তানি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিক নাইম হানিফের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুবাইয়ের স্কুলে সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের একমাত্র পুত্র, ছয় বছর বয়সী ইজান মির্জা মালিককে বাবার তৃতীয় বিয়ে নিয়ে শুনতে হয়েছে কটু কথা।  ছেলে বুলিংয়ের শিকার হওয়ায় সানিয়া ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পেশাগত কাজ শেষ করে এখন ছেলেকে নিয়ে আছেন হায়দরাবাদে। এবার ভারতের স্কুলেই ভর্তি করাবেন ছেলেকে।  পাকিস্তানের টিভি সাংবাদিক নাইম হানিফকে ফোনে সানিয়া বলেছেন, ‘পরিবার ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে গিয়ে শোয়েবকে বিয়ে করেছিলাম। ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এখন আক্ষেপ করতে হচ্ছে।’ শোয়েবের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও পাক ক্রিকেটারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সানিয়ার। বিচ্ছেদ-বিতর্ক থিতু হলে ইজহানকে নিয়ে পাকিস্তানে শোয়েবের বাড়ি যেতে চান তিনি।  সানিয়া বলেন, তিনি পাকিস্তানের মানুষের যথেষ্ট সমর্থন এবং ভালোবাসা পেয়েছেন। তারা সব সময় স্বাগত জানিয়েছেন তাকে। একটু সুস্থির হলে একবার পাকিস্তানে শোয়েবের বাড়ি যাবেন। তার পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা করবেন। ইজহানকেও নিয়ে যাবেন তার বাবার বাড়িতে। প্রসঙ্গত, গত শনিবার শোয়েব মালিক সোশ্যাল মিডিয়ায় সানা জাভেদকে বিয়ে করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারপরই জানা যায়, সানিয়া মির্জার সঙ্গে তার ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি হয়েছে।
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে গেলেও এখনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সানিয়া মির্জার। পাঁচ বছর বয়সি ছেলে ইজহানকে নিয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন ভারতের সাবেক এই টেনিস তারকা।
ফের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কা
লি না’র পর চীনের দ্বিতীয় নারী হিসাবে গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ঝেং কিনওয়েন। নিজের দেশে ‘কুইন ওয়েন’ নামে পরিচিত ২১ বছর বয়সি ঝেংকে বলা হচ্ছিল মেয়েদের টেনিসের ‘চাইনিজ ঝড়’।  শনিবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে সেই ঝড় থামাতে আরিনা সাবালেঙ্কার লাগল মাত্র ৭৬ মিনিট। একপেশে ম্যাচে ঝেংকে সরাসরি ৬-৩, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দিয়ে মেলবোর্নের রাজত্ব ধরে রাখলেন বেলারুশের এই তারকা। ২০১৩ সালে স্বদেশি ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার পর প্রথম নারী হিসাবে টানা দুবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের কীর্তি গড়লেন ২৫ বছর বয়সি সাবালেঙ্কা। কাকতালীয়ভাবে ২০১৩ সালের ফাইনালে আজারেঙ্কা হারিয়েছিলেন ঝেংয়ের পূর্বসূরি লি না’কে।  পরের বছর অবশ্য প্রথম চীনা হিসাবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে ইতিহাস গড়েন লি না। নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই সাবালেঙ্কার সামনে দাঁড়াতে না পারলেও ইতিহাস থেকে প্রেরণা খুঁজতে পারেন ঝেং। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এবার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের পথে একটি সেটও হারেননি সাবালেঙ্কা। এরচেয়েও বড় প্রাপ্তি, প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণের তৃপ্তি। চার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন সাবালেঙ্কার বাবা। তার স্বপ্ন ছিল, ২৫ বছর বয়সের মধ্যে অন্তত দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতবেন সাবালেঙ্কা। কাকতালীয়ভাবে ঠিক পঁচিশেই পূরণ হলো সেই স্বপ্ন।
লি না’র পর চীনের দ্বিতীয় নারী হিসাবে গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ঝেং কিনওয়েন।
ছেলেকে নিয়ে পাকিস্তানে ‘শ্বশুরবাড়িতে’ যাবেন সানিয়া
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে গেলেও এখনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সানিয়া মির্জার। পাঁচ বছর বয়সি ছেলে ইজহানকে নিয়ে ভারতে ফিরে এসেছেন ভারতের সাবেক টেনিক তারকা সানিয়া। মেনে নিয়েছেন শোয়েবকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। ছেলেকে নিয়ে পাকিস্তানে শ্বশুরবাড়িতে যেতে চান তিনি। পাকিস্তানের টিভি সাংবাদিক নাইম হানিফকে ফোনে সানিয়া বলেছেন, ‘পরিবার ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে গিয়ে শোয়েবকে বিয়ে করেছিলাম। ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এখন আক্ষেপ করতে হচ্ছে।’ শোয়েবের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও পাক ক্রিকেটারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সানিয়ার। বিচ্ছেদ-বিতর্ক থিতু হলে ইজহানকে নিয়ে পাকিস্তানে শোয়েবের বাড়ি যেতে চান তিনি।  সানিয়া বলেন, তিনি পাকিস্তানের মানুষের যথেষ্ট সমর্থন এবং ভালোবাসা পেয়েছেন। তারা সব সময় স্বাগত জানিয়েছেন তাকে। একটু সুস্থির হলে একবার পাকিস্তানে শোয়েবের বাড়ি যাবেন। তার পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা করবেন। ইজহানকেও নিয়ে যাবেন তার বাবার বাড়িতে। প্রসঙ্গত, গত শনিবার শোয়েব মালিক সোশ্যাল মিডিয়ায় সানা জাভেদকে বিয়ে করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারপরই জানা যায়, সানিয়া মির্জার সঙ্গে তার ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি হয়েছে।  আরও পড়ুন >> ‘পরিবারের মতের বিরুদ্ধে শোয়েবকে বিয়ে করে এখন আক্ষেপ হচ্ছে’ >> টিভি প্রোগ্রামে সানাকে সঙ্গে রাখার জন্য প্রযোজকদের অনুরোধ করতেন শোয়েব >> জীবনের ম্যাচে হেরে গেলেন ‘টেনিস সুন্দরী’!
শোয়েব মালিকের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে গেলেও এখনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সানিয়া মির্জার।
‘পরিবারের মতের বিরুদ্ধে শোয়েবকে বিয়ে করে এখন আক্ষেপ হচ্ছে’
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা।  গত শনিবার হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় সানিয়া-শোয়েব মালিকের দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসার জীবন। তাদের ৫ বছর বয়সি ইজহান নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ভারতীয় টেনিস সুন্দরীকে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। তারপরই জানা যায় সানিয়ার সঙ্গে আগেই ডিভোর্স হয়েছে শোয়েব মালিকের। এব্যাপারে এখনও মুখ খুলেননি পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে একান্ত আলাপ করেছেন সানিয়া মির্জা। পাকিস্তানের টিভি সাংবাদিক নাইম হানিফকে ফোনে ভারতীয় টেনিস সুন্দরী বলেছেন, ‘পরিবার ও বন্ধুদের বিরুদ্ধে গিয়ে শোয়েব মালিককে বিয়ে করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে শোয়েবকে বিয়ে করা আমার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এখন আক্ষেপ করতে হচ্ছে।’ আরও পড়ুন >> টিভি প্রোগ্রামে সানাকে সঙ্গে রাখার জন্য প্রযোজকদের অনুরোধ করতেন শোয়েব >> জীবনের ম্যাচে হেরে গেলেন ‘টেনিস সুন্দরী’! >> সানিয়া না শোয়েব, কে বেশি ধনী?
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা।
শোয়েবের তৃতীয় বিয়েতে বিব্রত ছেলে ইজহান, যে সিদ্ধান্ত সানিয়ার
সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মাস কয়েকের মধ্যেই তৃতীয়বার বিয়ে করলেন পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের কথা নিজেই জানান এ ক্রিকেট তারকা। এ বিয়ে নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা থাকলেও শোনা যাচ্ছে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে শোয়েবের ছেলে ইজহানের ওপর। বাবার বিয়ের কারণে স্কুলে হেনস্তার শিকার হচ্ছে সানিয়ার ছেলে। শেষে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন এই ‘টেনিস তারকা’। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদে মানসিক চাপ পড়েছে সানিয়ার ছেলের ওপর। স্কুলে যেতে পারছে না সে। সহপাঠীদের দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছে সে— এমনই দাবি করছেন পাকিস্তানি সাংবাদিক নইম হানিফ। সানিয়া নিজেই নাকি ছেলেকে নিয়ে উদ্বেগের কথা তাকে জানিয়েছেন।  ছেলেকে নিয়ে এতদিন দুবাইতে থাকতেন সানিয়া। সেখানকার বিশ্বমানের স্কুলে পড়াশোনা করে ইজহান। তবে শোয়েবের তৃতীয় বিয়ের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় ছোট্ট ছেলের ওপরও তার প্রভাব পড়েছে। তাই ছেলেকে নিয়ে দেশে ফিরলেন সানিয়া। হায়দরাবাদে সানিয়ার নিজস্ব বাড়ি। আপাতত সেখানেই আছেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, এ মুহূর্তে হায়দরাবাদে নিজের বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে অবস্থান করছেন সানিয়া। কিছু দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতের স্কুলেই ছেলে ইজহানকে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সানিয়া। শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়ে, সানার কত নম্বর? অবশেষে শোয়েবের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সানিয়া প্রসঙ্গত, আয়েশা সিদ্দিকীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর ২০১২ সালে সানিয়াকে বিয়ে করেছিলেন শোয়েব। বিয়ের ১০ বছর পেরোতেই ২০২২ সালে শোয়েবের পরকীয়ার কারণে সেপারেশনে ছিলেন সানিয়া। সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী সানার সঙ্গে তৃতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শোয়েব মালিক।
সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মাস কয়েকের মধ্যেই তৃতীয়বার বিয়ে করলেন পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের কথা নিজেই জানান এ ক্রিকেট তারকা।
‘আমি ছাড়া কি বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না?’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান কেন বেলিংয়ে নিজেকে তেমন ব্যবহার করলেন না, এই প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশ অধিনায়ক দিলেন এককথায়। তিনি জানালেন, হাতে ৫-৬টা অস্ত্র থাকলে সব একসঙ্গে ব্যবহার করতে নেই। জয় পেয়েই তিনি খুশি। সফরকারীদের বিপক্ষে এই প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ জয় পায় সাত উইকেটে।  প্রশ্ন : যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে কী দাপট দেখাতে পেরেছেন?  সাকিব : আমি খেলা শুরুর আগে কিছুই চাইনি। অবশ্যই জিততে চেয়েছি। জিততে পেরেছি, এতেই খুশি। প্রশ্ন : তৃতীয়দিনের পারফরম্যান্সে আয়ারল্যান্ডের কৃতিত্ব, নাকি বাংলাদেশের সামর্থ্যরে ঘাটতি? সাকিব : আয়ারল্যান্ড খুব ভালো খেলেছে বৃহস্পতিবার।  প্রশ্ন : আপনি এত কম বোলিং করলেন কেন?  সাকিব : সেরকম কোনো ব্যাখ্যা নেই। বোলিং বিশেষ একজনকে করতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। আপনার কাছে ৫-৬টা অস্ত্র থাকলে সব অস্ত্র সবসময় ব্যবহার করার দরকার নেই। আমি ছাড়া কি বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না? আমাদের যথেষ্ট বোলার আছে ২০ উইকেট নেওয়ার মতো, তাদের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। এটা তারা করে দেখিয়েছে। এমন এক উইকেটে খেলা হয়েছে, এমন উইকেটে আমরা বেশি খেলি না। প্রথম তিনদিন খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল। মিরপুরে টানা তিনদিন উইকেট এত ব্যাটিংবান্ধব থাকে না।  প্রশ্ন : ৫-৬ এর জন্য বোলার খেলানোর কী পরিকল্পনা ছিল? সাকিব : ২০ উইকেট নিতে হলে বোলিং অপশন বেশি লাগে এটার বিকল্প নেই। রক্ষণাÍক মানসিকতা থাকলে, ড্র করার চিন্তা থাকলে কম বোলিং অপশন নিয়ে খেলতে হবে। আর জিততে চাইলে, ৫-৬ জন বোলার লাগবে। বড় দলগুলো এই অবস্থায় আছে। ভারত, ইংল্যান্ড ৫-৬ জন বোলার আর ছয় ব্যাটার নিয়ে খেলে।  মিরাজ এমন ব্যাটার যে সাতে ব্যাট করতে পারে। তাহলে বোলিং অপশন বেড়ে যাচ্ছে। এটা দলের জন্য ভালো। সবাই বিশ্রাম পাবে, চাপ পড়বে না কারও ওপর। এখন তাইজুল অনেক বোলিং করছে। ভালো করছে। অপশন বাড়ানোর সুযোগ হচ্ছে।  প্রশ্ন : আয়ারল্যান্ডের বোলিং কী খারাপ? সাকিব : হয়তো বেশিরভাগ ম্যাচেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করব আমরা। সবসময় হয়তো হবে না। কন্ডিশন, প্রতিপক্ষের ওপর সবকিছু নির্ভর করে। ধীরে ধীরে হয়তো পজিটিভ খেলার চেষ্টা করব।  প্রশ্ন : বাংলাদেশের পারফরম্যান্স? সাকিব : আমি আগেই বলেছিলাম ২০২৩ সাল আমাদের খুব ভালো যাবে। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ আছে। পরের ছয় মাস যেন ভালো খেলতে পারি। প্রথম চার মাস ভালো খেলেছি। চেষ্টা থাকবে এটা ধরে রাখার। বেশিরভাগ ওয়ানডে খেলব, এই ফরম্যাটে আমরা অনেক ভালো। প্রশ্ন : আইপিএলে খেলতে না পারায় মন খারাপ? সাকিব : না। ভালো সুযোগ ছিল। বিশ্বকাপ ভারতে খেলতে পারলে ভালো হতো।  প্রশ্ন : বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতি কেমন হচ্ছে? সাকিব : মানসিক উন্নতিই সবচেয়ে বড় উন্নতি। বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচের সময় আলোচনা করেছি, হয়তো নিজেদের ছোট দল মনে করতাম। কিন্তু আমরা আসলে ছোট দল ছিলাম না। এই বিশ্বাস নিয়ে খেললে হয়তো সেমিফাইনালে যেতাম। হয়তো ওই জায়গাতেই ঘাটতি ছিল। এরপর ভেবেছি মানসিকতায় পরিবর্তন আনব। বিশেষ করে টি ২০ দলের সবাইকে দেখবেন মানসিক পরিবর্তন হয়েছে সবার।  প্রশ্ন : এই মুশফিককে কেমন দেখছেন?  সাকিব : মুশফিকের সঙ্গে খেলছি ২০০৩ থেকে। অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে একসঙ্গেই আছি। তখনও যেমন দেখেছি এখনও তেমনই। মাঝখানে অফ ফর্ম তো হয়ই। আপনার পরিবারের সবার সঙ্গে আপনার সবসময় সুসম্পর্ক থাকে না। আবার সবসময় খারাপ সম্পর্কও থাকে না। অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি জানেন কীভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুন খেলোয়াড়ের জন্য এটা কঠিন।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান কেন বেলিংয়ে নিজেকে তেমন ব্যবহার করলেন না, এই প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশ অধিনায়ক দিলেন এককথায়।
জাতীয় দলে সুযোগের অপেক্ষায় আছি: নাসির
একটা সময়ে জাতীয় দলে অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু তার পারফরম্যান্সে ছন্দ পতনের পাশাপাশি জীবন-যাপনে দেখা দেয় উশৃঙ্খলতা। যে কারণে জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে সরে যান তিনি।  তবে এবারের বিপিএলে ঢাকা ডমিনেটর্সের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে প্লে-অফে না তুলতে পারলেও ব্যক্তিগতভাবে সফল তিনি। ব্যাটে বলে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছেন নাসির। বল হাতে ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তার অলরাউন্ড নৈপুন্যে মুগ্ধ জাতীয় দলের নির্বাচকরাও।  মঙ্গলবার মিরপুরে নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হয় ঢাকা। এদিন চট্টগ্রামের করা ১১৯ রানের মামুলি স্কোর তাড়ায় ঢাকা হেরে যায় ১৫ রানে।  এদিন খেলা শেষে যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে বিপিএলে নিজের পারফরম্যান্স এবং জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কথা বলেন নাসির হোসেন।  যুগান্তর: বিপিএলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে যদি কিছু বলেন.. নাসির হোসেন: আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আমি বলব যে, ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। এবারের আসরের শুরু থেকেই ক্যালকুলেটিভ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। শুরু থেকেই টার্গেট ছিল দলের জয়ে ডমিনেট করার।  তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যেমন আজকের ম্যাচটায় আমি জিতিয়ে বের হতে পারলে আরেকটু ভালো লাগত। আরও কিছু ছোট ছোট জায়গা ছিল যেখানে উন্নতি করতে পারতাম। তবে সবমিলিয়ে আমি বলব যে বিপিএল আমার পারফরম্যান্স ঠিক আছে। যুগান্তর: এমন পারফরম্যান্সের পর অবশ্যই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আশা করছেন? নাসির হোসেন: অবশ্যই, তবে এখানে আমার কোনো হাত নেই। জাতীয় দলের নির্বাচকরা আছেন, তারা যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে নিজের সর্বোচ্চ উজার করে দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।  যুগান্তর: একটা সময়ে জাতীয় দলে ফিনিশার হিসেবে আপনার সুখ্যাতি ছিল, আবারও সুযোগ পেলে সেই রোল পেলে করতে পারবেন বলে মনে হয়? নাসির হোসেন: সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব ফিনিশার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করার।  যুগান্তর: বিপিএলে অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করেছেন? নাসির হোসেন: আমি সবসময় অধিনায়কত্ব উপভোগ করি। সবসময় দলের ভালোর জন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। হয়তো অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত হয় বা ভুল কিছু হয়। আমি আমার পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা করি যেন, দলের ভালো হয়। আমি খুশি হতাম যদি দল ভালো করত। যেহেতু ফল আসেনি তাই আমি খুশি না। আমার দল সেরা চারে থাকলে বলতে পারতাম খুশি। যুগান্তর: বিপিএলে আপনার দল ১২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়েছে। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে আপনি কী বলবেন? নাসির হোসেন: আমরা আরও ভালো করতে পারতাম, যদি ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারতাম। আমার কাছে মনে হয় একিবারে  শেষ মুহূর্তে দলে কিছু মান সম্মত খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। মালিক পক্ষ একদম অনভিজ্ঞ। ওনাদের কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না যে দল কেমন করা উচিত, দলে কী ধরনের ক্রিকেটার দরকার। এদিক থেকে একটু পিছিয়ে ছিলাম। একটা বছর গেল। এটা যদি পরের বছরও থাকে, আরও ভালো পরিকল্পনা করে দল করতে হবে। যুগান্তর: আপনার সঙ্গে পরামর্শ করে দল গঠন করা হয়নি?   নাসির হোসেন: আমার সঙ্গে পরামর্শ করেছে। আমি কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম বলেছিলাম। তবে তারা খেলার জন্য ফ্রি ছিল না। কারণ এখন সব জায়গায় খেলা হচ্ছে। যে কারণে সবাইকে পাওয়া যায়নি। যাদের পেয়েছে তাদের আনা হয়েছে।
একটা সময়ে জাতীয় দলে অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন নাসির হোসেন। কিন্তু তার পারফরম্যান্সে ছন্দ পতনের পাশাপাশি জীবন-যাপনে দেখা দেয় উশৃঙ্খলতা। যে কারণে জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে সরে যান তিনি।
মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্ষুদে ভক্তদের সঙ্গে একদিন
খেলায় আগ্রহ নেই এমন মানুষের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খেলার মাঠে না গেলে খেলার আনন্দ সেভাবে উপভোগ করা যায় না। এমনটিই বলেছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী নূর নবী ও আদিত্য রহমান নোহা।  মিরপুরের শহিদ পুলিশ স্মৃতি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর নবীর গ্রামের বাড়ি বিক্রমপুরে। বাবা কাপড়ের ব্যবসায়ী। ব্যস্ততার কারণে ছেলেকে নিয়ে মাঠে আসার সুযোগ হয়ে ওঠে না তার। চাচার সঙ্গে মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রথমবার খেলা দেখতে এসে উচ্ছ্বসিত নূর নবী।  সাকিব আল হাসানের এই ক্ষুদে সমর্থক যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে জানায়, এই প্রথম স্টেডিয়ামে এলাম। খুবই ভালো লাগছে। আসলে বাবা ব্যস্ত থাকেন, চাইলেও নিয়ে আসতে পারেন না। অনেক বলে কয়ে চাচার সঙ্গে স্টেডিয়ামে এসেছি। বাসায় টিভিতে খেলা দেখে আনন্দ পাই না। মাঠে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।  নূর নবী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করলেও ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের সম্পর্কে তার ভালোই জানাশোনা। বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের ভক্ত নূর নবী।  বুধবার ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে সাকিব ভারতীয় তারকা পেসার উমরান মালিকের বলে কয়েকবার আঘাত প্রাপ্ত হন। উমরানের বলটি সাকিবের হেলমেটে সরাসরি আঘাত হানে। মাঠে সাকিবকে আহত হতে দেখে নূর নবীর চোখ ছলছল করছিল।  নূর নবীর আরেক প্রিয় ক্রিকেটার ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে সাকিব-কোহলি দুইজনেই খেলছেন। কোহলি-সাকিব দুজনেই তার প্রিয় তারকা হলেও দেশের খেলা হওয়ায় নূর নবী মন থেকেই চান সাকিব জিতুক।  নূর নবী জানায়, দেশের খেলা হলে অন্যদলের সমর্থন করার কোনো মানে হয় না। বাংলাদেশ জিতবে এটাই আমি চাই। আমার বিশ্বাস টাইগাররা আজও জয় পাবে।  নূর নবীর মতো ক্ষুদে শিক্ষার্থী আদিত্য রহমান নোহাও মাঠে এসেছে খেলা দেখতে। সে পড়াশোনা করে রাজধানীর সিভিল এভিয়েশন স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে। তিন ভাই বোনের মধ্যে নোহা সবার বড়। বাবার কোলে এসেছে আরেক বোন। নোহা এ নিয়ে দ্বিতীয়বার মিরপুরে এসেছে খেলা দেখতে। মাঠের খেলা তাকে খুব টানে। খেলা হলে বাবার কাছে বায়না ধরে, মাঠে এসে খেলা দেখার জন্য। তার বায়না মেটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন ব্যবসায়ী বাবা।  যুগান্তরের সঙ্গে আলাপে নোহা জানায়, তার প্রিয় ক্রিকেটার সাকিব-তামিম। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরাট কোহলি তার প্রিয়। ক্রিকেট নোহার প্রিয় খেলা হলেও সে ডাক্তার হতে চায়।   কেন চিকিৎসক হতে চাও জানতে চাইলে নোহা বলে- আসলে মানুষের অসুস্থতা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। আমি অসুস্থ মানুষের কষ্ট সহ্য করতে পারি না। তাছাড়া রোগীদের সেবা করতে আমার খুব ভালো লাগে। অসুস্থ রোগীর পাশে থেকে তার একটু যত্ন নিতে মন টানে। সেজন্যই ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।
খেলায় আগ্রহ নেই এমন মানুষের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খেলার মাঠে না গেলে খেলার আনন্দ সেভাবে উপভোগ করা যায় না। এমনটিই বলেছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী নূর নবী ও আদিত্য রহমান নোহা।
এটা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জয়: আশরাফুল
ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের যতগুলো জয় আছে তার মধ্যে এ জয়কে অন্যতম সেরা বলছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।  রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব আল হাসানের স্পিন আর এবাদত হোসেনের গতির মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪১.২ ‍ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয় ভারত।   টার্গেট তাড়া করতে নেমে একটা সময়ে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২৮ রান। জয়ের জন্য ৯১ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬৯ রান। এরপর মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের দুয়ারে চলে যায় বাংলাদেশ।  নিশ্চিত পরাজয় জেনেও শেষ উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ বলে ৫১ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়ে ২৪ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজের মেহেদি রাঙানো জয়ে উচ্চ্বসিত বাংলাদেশ।  ভারতের বিপক্ষে পাওয়া এই অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে রোববার রাতে যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, অবিশ্বাস্য জয়। মিরাজের এই অল্প ক্যারিয়ারে দুইটা ইনিংস খেলল। একটা আফগানিস্তানের সঙ্গে, আজ ভারতের সঙ্গে- অবিশ্বাস্য ইনিংস।  অতীতে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ ক্রিকেট খেলুড়ে সব দলের সঙ্গেই দারুণ কিছু ম্যাচে জয় পেয়েছে। তবে ভারতের বিপক্ষে পাওয়া এই জয়কে অন্যতম সেরা বলছেন আশরাফুল।  তিনি বলেন, এটা অন্যতম সেরা এবং অবিশ্বাস্য একটা জয়। আপনি দেখেন শেষ উইকেটে মোস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রানের দারুণ একটা পার্টনারশিপ গড়ে মিরাজ। হারা ম্যাচেও যে আমরা জিততে পারি, এটা আমরা সব সময় দেখে এসেছি। আমাদের দেশে এটাই প্রথম, তো অসাধারণ। আত্মবিশ্বাস থাকলে যে সবকিছু সম্ভব হয় তা প্রমাণ করল মিরাজ-মোস্তাফিজ। অসাধারণ ইনিংস।  অতীতে এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারত তাদের পূর্ণশক্তির দল না পাঠিয়ে এ টিম পাঠিয়েছে। তবে এবার পূর্ণশক্তির দল নিয়েই বাংলাদেশ সফরে এসেছে ভারত। আর ভারতীয় সেই শক্তিশালী দলকেই হারিয়ে দিয়েছে টাইগাররা।  ভারত-পাকিস্তানসহ অতীতে বড় বড় দলগুলোর সঙ্গে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে তীরে গিয়ে তরী ডুবেছে বাংলাদেশের। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র ২ রানের জন্য হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে টাইগাররা। রোববার ১৩৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়েও শেষ উইকেটে মিরাজ-মোস্তাফিজের ৫১ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।  এ ব্যাপারে আশরাফুল বলেন, আসলে শেষ ৭-৮ বছর ধরে ভারতের সঙ্গে আমরা ফাইট করেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে হেরে যাই। আজকে ওই জিনিসটাই ভালো লেগেছে, আজ আমরা হারি নাই। জিততে পেরেছি। আপনি দেখেন, আমরা ভালো খেলি, কিন্তু শেষপর্যন্ত গিয়ে হেরে যাই। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি। তো আশা করব পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আমরা আরও সতর্ক হয়ে খেলব।    টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের এই সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান আরও বলেন, আজকে আমরা যে জয়টা পেয়েছি, আমার বিশ্বাস এ জয় আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। পরবর্তীতে আমরা যখন এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হব তখন আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এই বিশ্বাসটা থাকবে যে আমরা হারব না। শেষ বল পর্যন্ত আমরা লড়াই করব। আমার বিশ্বাস এ জয় সামনের দিনগুলোতে আমাদের অনেক কাজে দেবে।
ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের যতগুলো জয় আছে তার মধ্যে এ জয়কে অন্যতম সেরা বলছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
গোলের হিসাবে এগিয়ে আমরা বাকি সবদিকে নেপাল
চার ম্যাচে আট গোল। দুটি হ্যাটট্রিক। মেয়েদের সাফে মোস্ট ভ্যালুয়েবল ফুটবলারের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। গোল্ডেন বুট হাতে তোলার অপেক্ষায় এই ফরোয়ার্ড। এক যুগের আক্ষেপ ঘুচিয়ে মেয়েদের সাফে শিরোপা জেতার দাবিদার বাংলাদেশ, মানছেন তিনি। সোমবার দশরথ স্টেডিয়ামে ট্রফি নিজের হাতে দেখতে চান সাবিনা। প্রশ্ন : ফাইনালের প্রতিপক্ষ নেপালকে নিয়ে কী ভাবছেন? সাবিনা খাতুন : ভাবনার কিছু নেই। নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চাই। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। প্রশ্ন : ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নেপাল তাদের হারিয়েছে ১-০ গোলে। ফাইনালে কারা এগিয়ে থাকবে? সাবিনা : গোলের হিসাব করলে আমরা এগিয়ে থাকব। তবে আমার মনে হয়, বাকি সবদিকেই এগিয়ে নেপাল। প্রশ্ন : নেপালের বিপক্ষে অতীত রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। একটি মাত্র ম্যাচে ড্র। আর সব ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে। এবার কী হবে? সাবিনা : আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে চাই। আমাদের সব বিভাগই দুর্দান্ত। জেতার জন্যই আমরা খেলব। চেষ্টা করব শিরোপা জেতার। প্রশ্ন : নেপালের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি ভারত। আপনার পরিকল্পনা কী? সাবিনা : ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান মাঠে তার সেরাটা দিচ্ছে। আশা করি সে নেপালের ডিফেন্সকে চাপে রাখতে পারবে। আমি আছি, কৃষ্ণা আছে। রয়েছে সানজিদা। আমার মনে হয়, আমাদের সব বিভাগই সমান। প্রশ্ন : নিজেদের ডিফেন্স নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে? সাবিনা : ফাইনালে ডিফেন্স অনেক ব্যালান্স থাকবে। আমাদের রক্ষণের ফুটবলাররা যদি স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব। প্রশ্ন : নেপালের ফরোয়ার্ড সাবিত্রা ভান্ডারি, রেশমা কুমার, দিপা শাহীদের রুখতে কি পরিকল্পনা সাজিয়েছেন? সাবিনা : নেপালের ফরোয়ার্ডরা গতিসম্পন্ন। তবে রক্ষণে আমাদের রয়েছে মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দারা। রক্ষণ এতটাই দুর্দান্ত যে, ওদের নিয়ে কিছুই বলার নেই। আশা করি, নেপালের ফরোয়ার্ডদের আটকে রাখতে পারব। প্রশ্ন : তাহলে ধরেই নেওয়া যায়, এই প্রথম মেয়েদের সাফের ট্রফি যাচ্ছে বাংলাদেশে? সাবিনা : ফাইনালে নেপালের মেয়েরা যতটা না আমাদের জন্য হুমকি, তার চেয়ে বড় হুমকি হতে পারে তাদের মাঠ, সমর্থকদের উল্লাস। নিজেদের আবহাওয়ায় কাদামাটিতে খেলে অভ্যস্ত সাবিত্রা ভান্ডারিরা। আমার মনে হয়, ফাইনালে এই সুবিধা তারা নেবে। তারপরও শিরোপা জেতার দাবিদার বাংলাদেশ।
চার ম্যাচে আট গোল। দুটি হ্যাটট্রিক। মেয়েদের সাফে মোস্ট ভ্যালুয়েবল ফুটবলারের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
‘ঈশ্বর চাইলে শিরোপা যাবে বাংলাদেশে’
টাঙ্গাইলের মেয়ে কৃষ্ণা রানী সরকার অনূর্ধ্ব-১৪ ও ১৬ দল পেরিয়ে এখন জাতীয় দলে। আগেরদিন মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয়ে এক গোল করেছেন। ‘ঈশ্বর চাইলে সাফের শিরোপা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যাবে,’ বলেন তিনি। বুধবার সকালে কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার্স মাঠে অনুশীলন শেষে কথা বলেছেন কৃষ্ণা। প্রশ্ন : ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়। হোটেলে ফেরার পর পার্টি হয়েছে? কৃষ্ণা : ভারতের সঙ্গে জিতেছি। এতে সবাই খুশি। সমানে আরও দুটি ম্যাচ। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। শিরোপা জিতেই উল্লাস করতে চাই। প্রশ্ন : ক্যারিয়ারে অনেক ভালো ম্যাচ খেলেছেন। এই জয়টিকে কোথায় রাখবেন? কৃষ্ণা : সিনিয়র পর্যায়ে এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ। ভারতের বিপক্ষে জেতা সবচেয়ে বড় অর্জন। ফাইটিং ম্যাচ হয়েছে। আমিও গোল পেয়েছি। সব মিলিয়ে আমার কাছে এই ম্যাচটি শীর্ষে থাকবে। প্রশ্ন : দুর্দান্ত খেললেন। ম্যাচসেরা হলেন। এ নিয়ে কতবার? কৃষ্ণা : ক্যারিয়ারে কতবার ম্যাচসেরা হয়েছি, মনে নেই। সিনিয়র পর্যায়ে হয়তো এটাই প্রথম। প্রশ্ন : ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়ের কৃতিত্বের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে? কৃষ্ণা : না, কথা বলতে পারিনি। মা-বাবার কাছে স্মার্টফোন নেই। তাই কথা বলা হয়নি। ঢাকায় থাকা ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রশ্ন : ছোট ভাই কী বলল? কৃষ্ণা : ও (পলাশ সরকার) কাল (মঙ্গলবার) খেলা দেখেছে। আগের দুই ম্যাচে গোল না পাওয়ায় রাগ করেছিল। ভারতের বিপক্ষে জেতার পর আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। প্রশ্ন : এত খেলা থাকতে ফুটবলে কীভাবে এলেন? কৃষ্ণা : ছোটবেলা থেকে আমি চঞ্চল। টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ৩৬নং উত্তর বাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম। মেয়েদের চেয়ে ছেলে বন্ধু বেশি ছিল আমার। ছেলেদের সঙ্গে সাইকেল চালানো থেকে শুরু করে সব ধরনের খেলাধুলাই করতাম। সেখান থেকে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা আমাকে বাছাই করেন ফুটবলের জন্য। ২০১১ সালে খেলা শুরু করি। জাতীয় দলে খেলছি ২০১৪ থেকে। প্রশ্ন : ভারতের বিপক্ষে গোল করার পর কোচের কাছ থেকে কেমন অভিনন্দন পেলেন? কৃষ্ণা : স্যার আমাদের অনেক আদর করেন। জয়ের পর আরও বেশি স্নেহ করেছেন। প্রশ্ন : আপনার ক্যারিয়ারের এটাই কি সেরা ম্যাচ? কৃষ্ণা : বয়সভিত্তিক দলে সেরা ম্যাচ আছে অনেক। জাতীয় দলে এটাই সেরা। প্রশ্ন : ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমের চিত্র কেমন ছিল? কৃষ্ণা : সবাই চিৎকার করছিল। আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই আনন্দটা একটু বেশি করেছি। প্রশ্ন : কোচের মতে, এখান থেকেই মেয়েদের ফুটবলের বাঁকবদল শুরু হলো। আপনার কি মত? কৃষ্ণা : আমাদের সিনিয়র আপুরা ভারত ও নেপালের কাছে হেরেছেন। আমরা বয়সভিত্তিক ফুটবলে ভালো ফল করতে শুরু করি। অ-১৪ ও অ-১৬ দলে উন্নতি করেছি। ওখান থেকে সিনিয়র দলে আসা। আমরা যখন প্রথম সিনিয়র দলে আসি, তখনো ৫/৬টি করে গোল খেতাম। সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় ছয় বছর ধরে একসঙ্গে আছি আমরা। স্যার ঠিকই বলেছেন। আমাদের মেয়েদের ফুটবলে বাঁকবদল হয়েছে। যার প্রমাণ ভারতের বিপক্ষে জয়। প্রশ্ন : ফাইনালে মনে হয় ভারতকেই পাবেন। আরেকটি লড়াই। কী ভাবছেন? কৃষ্ণা : ফাইনালে জিততে চাই। তার আগে ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল। এই ম্যাচ উতরে যেতে চাই। জানি অনেক বেশি ফাইট দিতে হবে। প্রশ্ন : তাহলে আশা করতে পারি সাফের শিরোপা এই প্রথম যাচ্ছে বাংলাদেশে? কৃষ্ণা : ঈশ্বর যদি চান, তাহলে অবশ্যই যাবে।
টাঙ্গাইলের মেয়ে কৃষ্ণা রানী সরকার অনূর্ধ্ব-১৪ ও ১৬ দল পেরিয়ে এখন জাতীয় দলে। আগেরদিন মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয়ে এক গোল করেছেন। ‘ঈশ্বর চাইলে সাফের শিরোপা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যাবে,’ বলেন তিনি। বুধবার সকালে কাঠমান্ডুর আর্মি হেডকোয়ার্টার্স মাঠে অনুশীলন শেষে কথা বলেছেন কৃষ্ণা।
ওডিআইতে অত্যুজ্জ্বল অন্য দুই সংস্করণে নিষ্প্রভ কেন
ক্রিকেটের তিন সংস্করণে বাংলাদেশের দুধরনের পারফরম্যান্স। টেস্ট ও টি ২০-তে নিষ্প্রভ সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহর বাংলাদেশ ওডিআইতে অত্যুজ্জ্বল নৈপুণ্যে ভাস্কর। ওয়েস্ট ইন্ডিজে দাপুটে পারফরম্যান্সে ওয়ানডে সিরিজ জয় এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে যে, তিন ধরনের ক্রিকেটে উন্নতির ধারা প্রবহমান নয় কেন? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন কোচ মিজানুর রহমান- প্রশ্ন : টেস্ট ও টি ২০ ক্রিকেটের তুলনায় ওডিআইতে বাংলাদেশ দলের ভালো করার কারণ কী? মিজানুর রহমান : ঘরোয়া ওয়ানডে ক্রিকেটে আমাদের কাঠামো শক্তিশালী। এই ফরম্যাটে ঘরোয়া আসরে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। বিদেশি ক্রিকেটাররা থাকে। তাতে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা বাড়ে। এ কারণেই ওয়ানডে সংস্করণে ভালো করছে বাংলাদেশ। প্রশ্ন : টেস্ট ও টি ২০ ফরম্যাটে ভালো না করার কারণ? মিজানুর : এ দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল শক্তিশালী নয়। টি ২০-তে যখন যা দরকার প্রয়োগ করতে হয়। আমরা এখনো সেটা শিখিনি। টেস্ট ক্রিকেট অভ্যাসের ব্যাপার। জাতিগতভাবেই আমরা অস্থির। শুধু ক্রিকেটে নয়, সব বিষয়ে। টেস্টে ধীরস্থির থাকার মানসিকতা আমাদের নেই। প্রশ্ন : ওয়ানডেতে কি তাহলে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে স্থির? মিজানুর : সেটা বলা যায়। মানসিকভাবে একটা অবস্থান তৈরি করে ফেলেছে ক্রিকেটাররা। এই ফরম্যাটে আমরা মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছি। কিন্তু র‌্যাংকিংয়ে সাত থেকে পাঁচে যেতে হলে আরও উন্নতি করতে হবে। প্রশ্ন : আরেক ধাপ উন্নতির জন্য কী করতে হবে? মিজানুর : ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও উন্নতি দরকার। বাউন্সি উইকেট বানাতে হবে। যেন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা কন্ডিশনে খেলতে অসুবিধা না হয়। আমাদের ছেলেরা দেখা যায় বাউন্সের একটু পার্থক্য হলেই খেই হারিয়ে ফেলে। কারণ, তারা একটা নির্দিষ্ট ধরনের বাউন্সে খেলতে অভ্যস্ত। বাইরের কন্ডিশনে একইভাবে ব্যাট চালাতে ব্যর্থ হয়। আমাদের দেশে ভালো উইকেট বানানো সব সময় সম্ভব হয় না। মাঠের স্বল্পতা এজন্য দায়ী। যখন খেলা হয় তখন ইচ্ছা করেও হয়তো বাউন্সি উইকেট বানানো যায় না। এছাড়া আমাদের পেসাররা গতির ওপর বেশি জোর দেয়। এজন্য সুইং বোলার হারিয়ে যাচ্ছে। সুইং বোলারদের খেলে অভ্যস্ত না হলে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়। প্রশ্ন : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এত ভালো খেলার কারণ? মিজানুর : উইকেট আমাদের কন্ডিশনের মতো। আমরা সাধারণত স্পিন সহায়ক উইকেট বানাতে অভ্যস্ত। সেখানেও একই ধরনের উইকেট হওয়ায় আমাদের সুবিধা হয়েছে। কন্ডিশন আমাদের পক্ষে।
ক্রিকেটের তিন সংস্করণে বাংলাদেশের দুধরনের পারফরম্যান্স। টেস্ট ও টি ২০-তে নিষ্প্রভ সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহর বাংলাদেশ ওডিআইতে অত্যুজ্জ্বল নৈপুণ্যে ভাস্কর।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপে মেসিকে দেখা যাবে?
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের রেশ কাটতে না কাটতে হাজির আরেক মহারণ। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আজ ‘লা ফিনালিসিমা’ নামের মর্যাদার লড়াইয়ে মুখোমুখি কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইউরোজয়ী ইতালি।  দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন দলকে নিয়ে এমন আয়োজন আগেও দুবার হয়েছে। ১৯৮৫ সালে প্রথম আসরে উরুগুয়ের বিপক্ষে জিতেছিল মিশেল প্লাতিনির ফ্রান্স। ১৯৯৩ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ককে হারায় দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা।  এবার ইতালির বিপক্ষে মহারণের আগে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক প্রসঙ্গে কথা বললেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। প্রশ্ন : ইতালির বিপক্ষে ‘ফিনালিসিমা’ ম্যাচ নিয়ে আপনার ভাবনা কী? মেসি : ম্যাচটা দারুণ হবে। তারা ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপে থাকলে ইতালিকে ফেভারিট ধরা হতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা বিশ্বকাপে নেই। ফুটবলীয় কারণেই বাদ পড়েছে। ইতালি থাকলে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের ড্রয়ে কেউ তাদের মুখোমুখি হতে চাইত না। লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যেতে এই ম্যাচ আমাদের জন্য পরীক্ষা। জেতার জন্যই আমরা মাঠে নামব। প্রশ্ন : বিশ্বকাপে ইতালির অনুপস্থিতি কতটা বিস্ময়কর? মেসি : এটা অবিশ্বাস্য যে, ইউরো জিতলেও তারা বিশ্বকাপে নেই। তাদের না থাকা পীড়াদায়ক; কিন্তু এটাই বাস্তবতা। পিএসজিতে আমার সতীর্থ ও বন্ধু আছে ইতালি দলের। তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে, বিশেষ করে মার্কো ভেরাত্তি। ওর জন্য আমার কষ্ট লাগছে। প্রশ্ন : বর্তমান আর্জেন্টিনা দল ও তাদের সাফল্য নিয়ে বলুন। মেসি : এই দল প্রতিটি ম্যাচ খেলে ‘ফাইনাল’ ভেবে। সবাই জানে তাদের কীভাবে খেলতে হবে। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে তাদের কী করতে হবে। তরুণ একটি দলে যা সহজ নয়; কিন্তু এই দলের সবার নিজের করণীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা আছে। আর্জেন্টিনার এই দলটা যে কারও সঙ্গে লড়াই করতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আমরা বিশ্বকাপের দাবিদার। বলতে চাইছি, আমরা এখন যে কোনো দলের বিপক্ষে খেলার জন্য প্রস্তুত। প্রশ্ন : সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করবে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষকে কীভাবে দেখছেন? মেসি: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ সব সময় অন্যরকম। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন, প্রথম ম্যাচে জড়তা থাকে। আমাদের দলের অনেকেরই এটা প্রথম বিশ্বকাপ। তাদের চাওয়া যেমনই থাকুক, জেতার চাপ তারা অনুভব করবে। কারণ, প্রথম ম্যাচ জেতাটা পরের পথচলার জন্য আত্মবিশ্বাস জোগায়। অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, কোনো প্রতিপক্ষই সহজ নয়। আমাদের গ্রুপটা কঠিন। পুরো বিশ্বকাপই কঠিন হতে যাচ্ছে। প্রশ্ন : ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে কি মেসিকে দেখা যাবে? মেসি : আগেও বলেছি, কাতার বিশ্বকাপের পর অনেক বিষয় নিয়ে আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে। আসলে, আমি জানি না দেখা যাক কী হয়। একসময় যেমন কল্পনায়ও ছিল না, আমি বার্সেলোনা ছাড়া অন্য কোথাও খেলব। কিন্তু হঠাৎ একদিন আমাকে চলে যেতে হলো। আগামীতে অনেক কিছু ঘটতে পারে, ফুটবল পরিবর্তনশীল। প্রশ্ন : বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে এসে কোন পরিবর্তনগুলো অনুভব করছেন? মেসি : আমাকে খেলার নতুন ধরনের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। আগে আমি এক ঘরানার খেলায় অভ্যস্ত ছিলাম। নতুন জায়গায় আসাও ছিল অন্যরকম। ফুটবলকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা, নতুন সতীর্থ, সবকিছুই আমার জন্য নতুন ছিল। মনে পড়ে, প্রথমদিন বাচ্চাদের স্কুলে রেখে ফেরার সময় আমি ও আন্তোনেল্লা কেঁদেছিলাম। পরস্পরকে বলেছিলাম, এখানে কী করছি আমরা। প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে পিএসজির বিদায় কতটা পোড়ায়? মেসি : আমাদের জন্য সেটি ছিল বড় ধাক্কা। রিয়াল আমাদের শেষ করে দিয়েছিল। রিয়ালের সঙ্গে অনেক দিনের চেনাজানার ফলে আমি জানতাম, এমন কিছু হতে পারে। যে কোনো পরিস্থিতিতে গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে তারা। রিয়াল মাদ্রিদ এবার সেরা দল ছিল না। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা চ্যাম্পিয়ন দল। সে কারণেই সেরা দল না হয়েও তারা শিরোপা জিতেছে। প্রশ্ন : করিম বেনজেমার ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু? মেসি : এখানে দ্বিধার কোনো অবকাশ নেই। বেনজেমা দুর্দান্ত একটি বছর কাটিয়েছে। শেষটা করেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে। ব্যালন ডি’অর এবার বেনজেমাই জিতবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের রেশ কাটতে না কাটতে হাজির আরেক মহারণ। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আজ ‘লা ফিনালিসিমা’ নামের মর্যাদার লড়াইয়ে মুখোমুখি কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইউরোজয়ী ইতালি।
রোদে পোড়ার ভয় থাকলে স্বপ্ন পূরণ হবে না
ভারতে মেয়েদের আইপিএল খ্যাত উইমেন্স টি ২০ চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি সালমা খাতুন। তার সাক্ষাৎকার- প্রশ্ন : দেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে আইপিএলে খেলবেন। কেমন লাগছে? সালমা : ভালো লাগছে। আবার খারাপও। গত আসরে আমার সঙ্গে জাহানারা ছিল। আমাদের আরও কয়েকজন সুযোগ পেলে ভালো লাগত। প্রশ্ন : এর আগেও সেখানে খেলেছেন। এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলার প্রাপ্তি কি? সালমা : বড় মাপের টুর্নামেন্ট। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ, জেতার প্রবল ইচ্ছা এগুলো সম্পর্কে জানা যায়। অন্য দেশের ক্রিকেটাররা থাকে। তাদের সঙ্গে কথা বলে ক্রিকেট নিয়ে তাদের লক্ষ্য বোঝা যায়। আগেও দেশে ফিরে সেই অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করেছি। সবাইকে বলেছি সেখানে কি হয়। প্রশ্ন : বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলটাকে কোথায় দেখতে চান? সালমা : আমরা যখন শুরু করি তখন মেয়েরা ঠিকমতো অনুশীলনই করত না। এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অনেক বদল এসেছে। সবাই এখন গুরুত্বের সঙ্গে অনুশীলন করে। আমরা ভালো অবস্থানে দলকে রেখে যেতে পারলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। জুনিয়র যারা আসছে তারাও চেষ্টা করছে। প্রশ্ন : উন্নতি করা কিভাবে সম্ভব? সালমা : প্রতিভা থাকতে হবে। এরপর অবশ্যই লক্ষ্য। আমি লক্ষ্যের পেছনে ছুটি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে যত কষ্টই হোক, চেষ্টা করি। স্বপ্ন থাকলে পূরণ হবেই। আমি সবসময় স্বপ্ন দেখি। বিশ্বকাপের আগে স্বপ্ন দেখতাম সেরা দশে থাকব। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে (সেরা একাদশে)। তবে রোদে পোড়ার ভয় থাকলে স্বপ্ন পূরণ হবে না। প্রশ্ন : কোনো আক্ষেপ? সালমা : কোনো আফসোস নেই আমার। যা চেয়েছি, পেয়েছি। যখন পাইনি, ভেবেছি আরও পরিশ্রম করা দরকার। এখন হয়নি পরে হবে। প্রশ্ন : ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে কি মনে হয়, আমরা কোথায় পিছিয়ে আছি? সালমা : নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে অনেক ভালো করেছি। কিছু ভুল হয়েছে। ব্যাটিংয়ে হয়তো আরও একটু ভালো করলে কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারতাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারতাম, নিউজিল্যান্ডকে ধরতে পারতাম। অভিজ্ঞতা একটা ব্যাপার। আগে আমরা বিশ্বকাপ খেলিনি। তবে প্রথম ম্যাচে সব দলই বুঝে যায় বাংলাদেশ ছোট দল নয়।
ভারতে মেয়েদের আইপিএল খ্যাত উইমেন্স টি ২০ চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি সালমা খাতুন। তার সাক্ষাৎকার-
ফুটবল কলঙ্কিত, স্বীকারোক্তি সালাউদ্দিনের
‘ভাই তাড়াতাড়ি গোল দেন, এ সময়ের মধ্যে গোল দিতে হবে। ’বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচে ফরাশগঞ্জের ফুটবলার এমনটা বলছেন আজমপুর ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়কে। এই ম্যাচে আজমপুর ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত ছিল- এমন অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন দলটির কোচ ও ম্যানেজার।  চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে। যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেন দেশের ফুটবলের এই কিংদন্তি- যুগান্তর: চ্যাম্পিয়নশিপে ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে আজমপুর ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়দের ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে যদি কিছু বলেন? কাজী সালাউদ্দিন: আসলে এ ব্যাপারে আমার হাতে প্রমাণ না আসা পর্যন্ত আমি কিছু বলতে পারব না। আমি ফেডারেশনে আলাপ করেছি তারা বলেছে এরকম একটা অভিযোগ আসছে। অলরেডি আমরা তদন্তের জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। ম্যাচ ফিক্সিং তদন্তে আমাদের একটা স্পেশাল টিম আছে, যেখানে সিআইডি আছে। ওই টিমকে অলরেডি জানানো হয়েছে। ওদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই আমরা অ্যাকশনে যাব।  তদন্ত চলছে। একজন বললেই তো আর হবে না এবং কোচের সাথে ক্লাবে সমস্যা হয়েছে কিনা তাওতো আমরা জানি না। আমরা তদন্ত করে যদি রিপোর্টে এমন কিছু পাই তখন অ্যাকশনে যাব।  যুগান্তর: আজমপুরের পদত্যাগ করা কোচের অভিযোগ তার দল দ্বিতীয় বিভাগে খেলার যোগ্য নয়। কিন্তু বাফুফে সরাসরি চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে জায়গা করে দিয়েছে। বাফুফে সভাপতি হিসেবে এ ব্যাপারে আপনার কী বলার আছে? কাজী সালাউদ্দিন: বাফুফের কারণে কেন হবে! যারা আবেদন করে, নিয়মে যেটা আছে, বাফুফের দোষটা কোথায় আমি বুঝে পাই না। খালি বাফুফে বাফুফে করে! নিয়ম যেটা আছে, নিয়মে আবেদন করলে আপনি যদি কাইটেরিয়া ফুলফিল করেন তাহলে খেলতে পারবেন। না করলে পারবে না। যারা খেলতে পারেনা তারাও বাফুফেকে গালাগালি করে, যারা খেলার সুযোগ পায় তারাও গালাগালি করে। মানে এটা একটা সুবিধা হয়ে গেছে। হারতে থাকলে রেফারি দোষ আর জিতলে ভালো। যুগান্তর: টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া একটি ক্লাবের ফুটবলারদের যখন রেললাইনের পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়, যেখানে শব্দদূষণ এবং মশার উতপাতের কারণে ২৪ ঘণ্টা মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। এমন একটি ক্লাবকে কেনো অংশ নিতে দেয়া হলো। এখানে বাফুফের কোনো দায়বদ্ধতা নেই? কাজী সালাউদ্দিন: এমন সমস্যা থাকলে প্লেয়াররা খেলবে কেন? প্লেয়ারা খেলা ছেড়ে দিতে পারে। কেন বাফুফের দায়বদ্ধতা থাকবে। কীভাবে থাকবে, আপনি বলেন। আমাকে গভমেন্ট কি ফান্ড দেয়! আমাকে এই কাজ করতে ফান্ড দেয়। এটা তো আমার দেখার বিষয় না। ক্লাব তাদের খেলোয়াড়ের প্যালেসেও রাখতে পারে আবার ফাইভস্টার হোটেলেও রাখতে পারে। বাফুফে সব করবে কিভাবে, বাফুফে তো খোদা না। কিছু হইলেই বাফুফের দোষ। বাফুফের একটাই কাজ হলো টুর্নামেন্ট অর্গানাইজ করা। ক্লাব না চাইলে খেলবে না। বাফুফের এগুলো করতে গেলে টাকা লাগবে। বাফুফের কোনো অধিকার নেই সিস্টেমের বাইরে কাউকে টাকা দেওয়ার। যদি আমি ওদের এক হাজার টাকা দেই তাহলে সব ক্লাবকেই দিতে হবে। যুগান্তর: অতীতে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ছিল। কিন্তু ইদানীং স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠছে যে- কোন টাইমে কতগুলো গোল হবে...!  কাজী সালাউদ্দিন: আহা! আমিতো উত্তর দিয়েই দিলাম। এটার মধ্যে আমরাও ঘুমায়ে নাই। আপনি তো ইচ্ছা করলে যা ইচ্ছা লিখতেই পারেন। তবে আমার অ্যাকশনে যাওয়ার আগে তো প্রমাণ দিতে হবে। কারণ (শাস্তি দিলে) তারা তো কোর্টে যাবে। প্রমাণের জন্য যা যা দরকার আমরা তা করছি। যখনই পাব তখনই অ্যাকশনে যাব। গত বছরও হয়েছে।  যুগান্তর: প্রমাণিত হলে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন? কাজী সালাউদ্দিন: সাসপেনশন। যুগান্তর: সাসপেনশনকে কেউ যদি পাত্তা না দেয়। ফুটবলকে কলঙ্কিত করা এমন ঘটনা বারবার ঘটতে থাকে তখন আর কী করা যেতে পারে? কাজী সালাউদ্দিন: আমি আর কী করতে পারি! আমি একটাই করতে পারি সাসপেনশন। সাসপেনশন করার পর খেলতে পারবে না। ক্লাবই থাকবে না। আমি আর কী করতে পারি! যুগান্তর: আপনি কী মনে করেন এসব ঘটনায় ফুটবল কলঙ্কিত হচ্ছে? কাজী সালাউদ্দিন: অবশ্যই। যুগান্তর: আপনি ফুটবলের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। দেশের ফুটবলের বড় পদে আপনি থাকা সত্ত্বেও যখন এমন ঘটনা ঘটে, এমন ঘটনায় আপনার বোর্ডও তো কলঙ্কিত হয়...? কাজী সালাউদ্দিন: না না না। আপনি চুরি করলে আমি কলঙ্কিত হব কেন! আপনি চুরি করলে আপনাকেই আমি পানিশমেন্ট দেব। যদি আপনাকে আমি পানিশমেন্ট না দেই তাহলে আমার অন্যায় হবে। আমি তো আপনার অভিভাবক না। আমি তো আপনার ওয়েলফেয়ার দেখব তাই না! আপনি একটা অন্যায় করছেন, অন্যায় অনুযায়ী আমি আপনাকে পানিশমেন্ট দিতে পারি। আমি যদি পানিশমেন্ট না দেই তখন আপনি বলতে পারেন। আপনারা যদি এভাবে প্যাঁচান তাহলে কঠিন হয়ে যায়।  যুগান্তর: তারপরও তো এসব বিষয় বাফুফে এড়িয়ে যেতে পারে না...? কাজী সালাউদ্দিন: বাফুফে কোথায় এড়াল। এড়াবে কেন।  এড়ানোর তো কোনো কারণ নেই। কেন এড়াবে।  আমি যখনি প্রমাণ পাবো বের করে দিব। একেবারে সাসপেনশন করে দেব। তখন কারো কোনো কিছুই শোনা হবে না।  যুগান্তর: ফুটবলের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা এড়ানোর জন্য আর কী কী করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন? কাজী সালাউদ্দিন: এখান থেকে যা যা করার তাই করছি। অন্যায় করলে বের করে দেব। দুধ যেমন ছেকলে সর ওঠে, ঠিক তেমনি ছেকতে ছেকতে সর উঠবেই। এখানে বাফুফে কোনো ভাবেই জড়িত না।  যুগান্তর: কোনো ক্লাবের কর্তারাই যদি তার খেলোয়াড়দের গোল খাওয়ার জন্য উৎসাহী করেন, সেই ক্লাবকে খেলার অনুমতি দেওয়ার জন্য বাফুফে কী দায়ী নয়? কাজী সালাউদ্দিন: আপনি বারবার একই কথা বলছেন। আমি যখন প্রমাণ করতে পারব ওই টিম ম্যাচ গড়াপেটা করেছে তখন আমি সেই টিমকে সাসপেনশন করব। এর মধ্যে বাফুফের কেউ জড়িত না। আমিও তো চাই না এটা হোক। ফেডারেশনের কেউ চায় না এটা হোক। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আমকে তো আগে প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ করার পর পানিশমেন্ট না দিলে তখন বাফুফের দোষ বইলেন। আপনি দেখেন না কোথায় যায়। অর্ধেক টিমই হয়তো থাকবে না। আমি তো প্রফেশনাল লোক দিয়ে (তদন্ত) করাচ্ছি। আমিতো আমার ভাই-বোন দিয়ে (তদন্ত) করাচ্ছি না।  যুগান্তর: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কাজী সলাউদ্দিন: ওকে।
‘ভাই তাড়াতাড়ি গোলদেন, এ সময়ের মধ্যে গোল দিতে হবে। ’বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ম্যাচে ফরাশগঞ্জের ফুটবলার এমনটা বলছেন আজমপুর ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়কে।
মেসি-রোনাল্ডো ও শচীন-লারার মধ্যে বোল্টের চোখে সেরা কে (ভিডিও)
ক্রিকেট ও ফুটবল নিয়ে কিংবদন্তি দৌড়বিদ উসাইন বোল্টের আগ্রহ নতুন নয়। সুযোগ পেলেই নেমে পড়েন মাঠে। ইতিহাসের এ দ্রুততম মানবকে দিতে হলো কঠিন কিছু প্রশ্নের উত্তর, যা নিয়ে আগে থেকেই বিভক্ত ক্রিকেট ও ফুটবলপ্রেমীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের লিডারশিপ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে উসাইন বোল্ট এসব প্রশ্নের উত্তর দেন। এ ছাড়া জ্যামাইকান তারকা করোনা মহামারি, ক্যারিয়ার, বর্ণবাদ, অনুশীলন, তারকা ইমেজ, পিতৃত্ব ও ক্রিকেট নিয়ে ক্রীড়া সাংবাদিক আয়াজ মেননের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। আয়াজ বোল্টকে কিছু ছোট ছোট প্রশ্ন করেন। প্রথম প্রশ্ন ছিল— টি-টোয়েন্টি না টেস্ট ক্রিকেট। বোল্ট:  টি-টোয়েন্টি। এর পরের প্রশ্ন: শচীন টেন্ডুলকার না ব্রায়ান লারা। বোল্ট: অবশ্যই লারা (একটু ভেবেচিন্তে)। এর পরের প্রশ্ন: রোনাল্ডো না মেসি। বোল্ট: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এর পর বোল্টকে আয়াজ জিজ্ঞাসা করেন মাইকেল ফেলপস না উসাইন বোল্ট অলম্পিকের সর্বকালের সেরা।  তখনই হেসে দেন উসাইন বোল্ট। এর পর বোল্ট বলেন, আমাকে একটু চিন্তা করার সুযোগ দিন। এর পর কিংবদন্তি এ দৌড়বিদ জবাব দেন, উসাইন বোল্ট। এদিন স্প্রিন্ট ট্র্যাকের কিংবদন্তি উসাইন বোল্ট তরুণ অ্যাথলেটদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন।
ক্রিকেট ও ফুটবল নিয়ে কিংবদন্তি দৌড়বিদ উসাইন বোল্টের আগ্রহ নতুন নয়। সুযোগ পেলেই নেমে পড়েন মাঠে। ইতিহাসের এ দ্রুততম মানবকে দিতে হলো কঠিন কিছু প্রশ্নের উত্তর, যা নিয়ে আগে থেকেই বিভক্ত ক্রিকেট ও ফুটবলপ্রেমীরা।
‘জেতার শরীরী ভাষাই নেই’
টানা তিন ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ বাংলাদেশের। টি ২০ বিশ্বকাপে নিয়ম রক্ষার শেষ দুই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন ভরাডুবির কারণ হিসাবে ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ কোচ সারোয়ার ইমরান মনে করছেন, বাংলাদেশ দলের শরীরী ভাষাই তৈরি হয়নি। আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটের মানসিকতাই নেই মাহমুদউল্লাহদের। এসব কারণেই জয়ের কাছে গিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। যুগান্তরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরোয়ার ইমরান বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা নিয়ে নিজের ভাবনা জানালেন- প্রশ্ন : জয়ের খুব কাছে গিয়েও বাংলাদেশ কেন পারল না? উত্তর : আসলে বাংলাদেশ দলের শরীরী ভাষাতেই জয়ের তাড়না ছিল না। তাদের দেখে সব সময় নেতিবাচক মনে হয়েছে। ক্রিকেটারদের মোটেও আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। চাপের মুহূর্তে এজন্য সবাই ভেঙে পড়েছে। প্রথম পর্বের প্রথম ম্যাচে হারের পর থেকেই এটা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন : ক্রিকেটারদের এমন অবস্থা কেন হয়েছে? উত্তর : বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আসলে এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অভ্যাস নেই। আর প্রথম রাউন্ডে হারের পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মিডিয়া সব জায়গাতেই সমালোচনা হচ্ছে। এগুলো ক্রিকেটারদের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। তাদের মানসিকতাও এলোমেলো হয়ে গেছে। এজন্য সহজ ক্যাচগুলোও মিস করছে। প্রশ্ন : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মূল সমস্যাটা কোথায় ছিল? উত্তর : লিটন ম্যাচ ভালোভাবে ধরে রেখেছিল। ওই সময় ছক্কা হলে বাংলাদেশ জিতে যেত। ভালো খেলার পরও কিন্তু তিনি খলনায়ক। আসলে টি ২০ ক্রিকেটের উপযোগী কোনো পাওয়ার হিটার দলে নেই। পাকিস্তানের আসিফ আলী কিংবা আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের খেলা দেখলেই তো বোঝা যায় কীভাবে ইতিবাচক থেকে ম্যাচ শেষ করতে হয়। যা আমাদের দলে অনুপস্থিত। প্রশ্ন : সামনের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশের কিভাবে খেলা উচিত? উত্তর : একেবারেই নির্ভার হয়ে খেলতে হবে। বাইরের চিন্তা করা যাবে না। এখন আর কিছুই হারানোর নেই। কিন্তু অনেক কিছু পাওয়ার আছে। দুটি ম্যাচেই কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু এই ফরম্যাটে হিসাব মেলানো কঠিন। উপভোগের ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রশ্ন : অন্য গ্রুপে থাকলে বাংলাদেশের জন্য কাজটা আরও কঠিন হতো কিনা? উত্তর : আমার তেমনটা মনে হয় না। ওই গ্রুপে পড়লে বরং আরও ভালো হতো। এই গ্রুপে সবগুলোই বড় দল। তবে ভালো ক্রিকেট খেললে, দুএকটা জয় পেলে সব গ্রুপই সহজ হয়ে যায়।
টানা তিন ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ বাংলাদেশের। টি ২০ বিশ্বকাপে নিয়ম রক্ষার শেষ দুই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন ভরাডুবির কারণ হিসাবে ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ কোচ সারোয়ার ইমরান মনে করছেন, বাংলাদেশ দলের শরীরী ভাষাই তৈরি হয়নি। আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটের মানসিকতাই নেই মাহমুদউল্লাহদের। এসব কারণেই জয়ের কাছে গিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। যুগান্তরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরোয়ার ইমরান বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা নিয়ে নিজের ভাবনা জানালেন-
ভারতের দল বাছাই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইনজামাম (ভিডিও)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে গো হারা হেরেছে ভারত। বাবর-রিজওয়ানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে এমন বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে এমন হারে সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন বিরাট কোহলিরা।  এই হারের পেছনে ভারতের দল নির্বাচনকেও দায়ী করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল হক। তিনি মনে করেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে দল নির্বাচন সঠিক ছিল না কোহলিদের। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে দলে জায়গা দেওয়াটা ভুল ছিল বলে মন্তব্য ইনজামামের।  ইনজামাম ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও প্রকাশ করে আরও বলেন, ভারতের টিম কম্বিনেশন ঠিক ছিল না। কারণ তাদের ষষ্ঠ বোলারের অভাব ছিল। পাঁচজন প্রধান বোলারের ব্যাকআপ হিসেবে আরও একজন দরকার ছিল।   ইনজামাম বলেন, বাবর আজম তার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তার একাদশ বাছাই সঠিক ছিল।  কিন্তু কোহলিরা এ বিষয়ে সচেতন ছিল বলে মনে হয় না। ইনজামাম তার সেই ভিডিওবার্তায় ব্যাখ্যা করেন, ষষ্ঠ বোলারের অনুপস্থিতির কারণে ভারতের সম্ভাবনাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।  এটি ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে অনেক চাপে ফেলেছে। বাবর আজমের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ইনজামাম বলেন, বাবর তার একাধিক বোলিং বিকল্পের ভালো ব্যবহার করেছে, যার ফল সে পেয়েছে। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে গো হারা হেরেছে ভারত। বাবর-রিজওয়ানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে এমন বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে এমন হারে সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন বিরাট কোহলিরা।
ভারত-পাকিস্তান মহারণে কে জিতবে? যা ভাবছেন সাবেক ক্রিকেটাররা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর এ বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে টি২০ বিশ্বকাপ। আর এবারের মূল আসরের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। আর এ দুই দেশের ম্যাচ মানেই যেন একটি স্নায়ুযুদ্ধ। এই ম্যাচটির নানান দিক নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজে কথা বললেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ ও পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। গণমাধ্যমটিতে টি২০ বিশ্বকাপের আবহে ‘সবসে বড়া মৌকা’ অনুষ্ঠানে কে জিতবে এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ কাইফ জানান, ভারতীয় দল প্রস্তুত।   কাইফের এমন মন্তব্য মেনে নিয়েই শোয়েব আখতারের বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ঠিকই। তবে এটিও মনে রাখবেন যে, চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে তৈরি পাকিস্তান দলও। শোয়েবের লেখা বই 'কন্ট্রোভার্সিয়ালি ইওরস'-এ তিনি শচীন টেন্ডুলকারের দুর্বলতা নিয়ে লিখেছেন ধারণা করা হতো। অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এমনটি কখনই লেখেননি তিনি। শচীনের ব্যাপারে এ ধরনের কথা ভাবাও যায় না। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারদের একজন শচীন, এমন মন্তব্য করে জানান তার সঙ্গে শচীনের সুসম্পর্কের কথাও। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শোয়েবের পছন্দের ক্রিকেটার কে এমন প্রশ্নে শোয়েব আখতার জানান, রোহিত শর্মাকে অনেক ভালো লাগে তার। রোহিতের নাম গ্রেট রোহিত শর্মা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রোহিতের পর ঋষভ পন্থকে ভালো লাগে এই সাবেক পাক ক্রিকেটারের। এ ছাড়া বিরাটকে শোয়েব মন্তব্য করে বলেন, এবারে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেতে চলেছেন কোহলি।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর এ বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে টি২০ বিশ্বকাপ। আর এবারের মূল আসরের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। আর এ দুই দেশের ম্যাচ মানেই যেন একটি স্নায়ুযুদ্ধ।
বিশ্বকাপে এগোতে হবে ধাপে ধাপে : সাকিব
আইপিএলে খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে ঢাকায় একটি টাইলস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় জানালেন বাংলাদেশকে নিয়ে নিজের বিশ্বকাপ ভাবনা- বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ভালো সুযোগ আছে। আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো হয়েছে। গত তিনটি সিরিজ আমরা জিতেছি। উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জয়ের কোনো বিকল্প নেই। একটা দল যখন জিততে থাকে, জয়ের মানসিকতা থাকে, তা অন্য পর্যায়ের আত্মবিশ্বাস জোগায়। অনেক ভালো খেলেও ম্যাচ হারলে আত্মবিশ্বাস থাকে না। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই। এখানকার উইকেট-কন্ডিশন ওখানে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। আমাদের জয়ের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যাব। আইপিএলে খেলা সাহায্য করবে কি? আশা করি, করবে। সেই অভিজ্ঞতা আমরা দলের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারব, আমি পারব, মোস্তাফিজ পারবে। আটটি আইপিএল দলে আমরা দুজন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, খেলোয়াড়দের ভাবনা কেমন, বিশ্বকাপ নিয়ে কীভাবে ভাবছে অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রা-এসব সম্পর্কে ধারণা হবে, যা সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেব। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে আইপিএল শেষ করে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম। এবারও সেই সুযোগ আছে। চেষ্টা করব নিজেকে সর্বোত্তম পন্থায় প্রস্তুত করার, যেন দেশের হয়ে আমার পক্ষে যতটুকু পারফর্ম করা সম্ভব তা করতে পারি। সবসময় একরকম পারফর্ম হবে। আমার চেষ্টা থাকবে শতভাগ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ অবস্থানে যাওয়ার। ধাপে ধাপে এগোতে হবে। আমরা যদি প্রথমে ভালো করতে পারি, পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের ভালো করার জন্য আত্মবিশ্বাস জোগাবে। প্রথম রাউন্ড ভালোভাবে শেষ করতে পারলে মূলপর্বে সেরা পারফরম্যান্সের চেষ্টা করব। টি ২০ ক্রিকেটে সবারই সুযোগ থাকে। একবার মোমেন্টাম নিতে পারলে ভালো সুযোগ পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়া... আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলের জন্য কতটা অবদান রাখতে পারছি, দলের জয়ের পেছনে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছি, এগুলো। আমার মনোযোগ সবসময় এরকমই ছিল, আছে, থাকবে। এটার কোনো পরিবর্তন নেই। সেটা যদি উইকেট না পেয়ে রান কম দিয়েও হয়, আমি খুশি থাকব। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে দলগত পারফরম্যান্সই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওপেনারদের ফর্ম ৯-১০টা ম্যাচ যারা খেলেছে সবাই অফ-ফর্মে আছে। উইকেটটাই এমন। এখানে কেউ খুব একটা ভালো করেনি যে বলতে পারবেন ও ভালো করেনি। ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এই পারফরম্যান্স গণ্য না করাই ভালো। এরকম উইকেটে কোনো ব্যাটসম্যান ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। যারা দলে আছে সবাই দেশকে জেতানোর সামর্থ্য রাখে।
আইপিএলে খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে ঢাকায় একটি টাইলস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় জানালেন বাংলাদেশকে নিয়ে নিজের বিশ্বকাপ ভাবনা-
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মানসিকতার উন্নতি করতে চান সাকিব
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মানসিকতা উন্নতি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। যদি তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের  বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক লাইভে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।  ওই লাইভে দেশের আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আরও বলেছেন,  ক্রিকেটার হব সেটা পরিকল্পনা ছিল না। যদি প্ল্যান থাকতো তাহলে ফুটবলার হতাম অথবা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতাম। ক্রিকেটটা পুরোটাই প্ল্যানের বাইরে।  লাইভে সাকিবকে করা প্রশ্নসমূহ বাংলাদেশ দলের সেরা অধিনায়ক কে ছিল? মুশফিক, মাশরাফি, সাকিব। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি ইতস্তত করেন। পরে তিনি বলেন, এটা কঠিন প্রশ্ন। তবে রেকর্ডের দিক দিয়ে মাশরাফি ভাই। প্রশ্ন: ফুটবলে আপনার পছন্দের খেলোয়ার কে?   সাকিব: লিওনেল মেসি প্রশ্ন: প্রিয় পার্টনারশিপ খেলোয়াড় কে? তামিম, মুশফিক নাকি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ? সাকিব: তিনজনের সঙ্গেই আমার বড় বড় পার্টনারশিপ হয়েছে। তবে এখানে ফেভারিট মুশফিক ভাই।  প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের একটি মাত্র জিনিস যদি আপনি ইমপ্রুভ (উন্নতি) করতে পারেন, তাহলে সেটা কী? সাকিব: মানসিকতা প্রশ্ন: একটু বিস্তারিত বলতে পারেন সাকিব: না, আর বলা যাবে না। প্রশ্ন: এ যাবতকালে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে আপনার আদর্শ কে? বা কাকে দেখে আপনি ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছা জাগে।  সাকিব: ওভাবে তো তখন খেলা দেখার সুযোগ হয়নি। ছোট ছিলাম অনেক। ওই সময় এত ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ হতো না, দেখারও তেমন সুযোগ ছিল না। তবে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ বেশি দেখা হতো। ওখানে সাঈদ আনোয়ারের খেলা ভালো লাগতো, সাকলাইন মুশতাক, ওয়াসিম আকরাম, শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়। এদের খেলাই বেশি দেখা হতো।  প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অগোচালো খেলোয়াড় কে? সাকিব: আমি  প্রশ্ন: কেন? সাকিব: কারণ, আমি কোনো কিছুই ড্রেসিং রুমে গুছিয়ে রাখি না। সবকিছু ছড়ানো ছিটানো থাকে।  প্রশ্ন: ফুটবল, ব্যাডমিন্ট নাকি সাঁতার? সাকিব: ফুটবল প্রশ্ন: লর্ডস না ওভাল? সাকিব: লর্ডস  প্রশ্ন: সবচেয়ে স্মরণীয় জয় কোনটি ছিল? সাকিব: ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। যেটাতে জিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে যাই।  প্রশ্ন: ব্রায়ান লারা না শচিন টেন্ডুলকার? সাকিব: ব্রায়ান লারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মানসিকতা উন্নতি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। যদি তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক লাইভে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই সাকিব হতে চান সেই সাকিবের মতো
বাংলাদেশের মানুষ সাকিব নামে দুইজনকে চেনেন। একজন সাকিব আল হাসান, আরেকজন শাকিব খান। সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলে বিশ্বে পরিচিত। আর শাকিব খান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গেও বেশ জনপ্রিয়। তবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মতো আরও এক সাকিব আল হাসানের আবির্ভাব হচ্ছে। চলমান ফেডারেশন কাপে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাবের চার গোলরক্ষকের একজন। নতুন বছরে খেলার অপেক্ষায় রয়েছেন নওগাঁর পত্নীতলার অজোপাড়া গ্রাম থেকে উঠে আসা বাস ড্রাইভারের ছেলে এই সাকিব। যুগান্তরকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ১৮ বছর বয়সী এই তরুণ ফুটবলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তার সেই সাক্ষাৎকারটি চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো- যুগান্তর: কেমন আছেন? সাকিব আল হাসান: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। যুগান্তর: সাকিব আল হাসান নামের জন্য আপনি রোমাঞ্চিত কিনা? সাকিব আল হাসান: হ্যাঁ। আমার মধ্যে রোমাঞ্চ কাজ করে। অনেকেই বলেন- এ আরেক সাকিব। ক্রিকেটার সাকিবের মতো সেও একদিন বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করবে। আমি তাদের কথায় অনুপ্রাণিত হই। আমিও সাকিব ভাইয়ের মতো বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরতে চাই।  যুগান্তর: সাকিব আল হাসান নামটি কে রাখল, বাবা না মা? সাকিব আল হাসান: আমার আসল নাম মো. সাকিব হোসেন। তবে আমি যখন ২০১৪ সালে ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন আমার স্কুলের এক স্যার আমার নাম রাখেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেছেন, ‘আমি চাই তুমিও সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্ব তারকা হও, দেশের প্রতিনিধিত্ব কর।’ যুগান্তর: ক্রিকেটার সাকিবের খেলা পছন্দ করেন? সাকিব আল হাসান: পছন্দ করি মানে, আমি সাকিব আল হাসানের একজন পাঁড়ভক্ত। ফুটবল খেললেও সাকিব আল হাসানের খেলা আমি দেখি। তার কোনো খেলা আমি মিস করি না। সুযোগ হলেই সাকিবের খেলার ভিডিও দেখি। তার খেলা আমার অনেক ভালো লাগে।  যুগান্তর: সাকিবের কোন পজিশন আপনার পছন্দ, ব্যাটিং না বোলিং? সাকিব আল হাসান: সাকিব ভাইয়ের ব্যাটিংশৈলী আমার অনেক ভালো লাগে। উনি যখন ব্যাটিং করেন তখন মনোযোগ দিয়ে দেখি। আমার স্বপ্ন ফুটবল খেলে সাকিব ভাইয়ের মতো বিশ্ব তারকা হওয়া।  যুগান্তর: ক্রিকেট রেখে ফুটবল বেছে নেয়ার কারণ? সাকিব আল হাসান: আমি ছোট থেকেই ফুটবল পছন্দ করি। আমার বাবা (আবুল কালাম আজাদ), বড়ভাই (মো. রিপন হোসেন) ফুটবল খেলতেন। বড়ভাই এবং বাবার দেখাদেখি ফুটবলে আমার আসক্তি। আমার ভাই ফুটবল খেলে বেশিদূর এগোতে পারেননি। তিনি এখন বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। বাবা পেশায় একজন ড্রাইভার। জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি তিনি বাস চালান। এখন হানিফ পরিবহনের ডিস্ট্রিক বাস চালান। বাবার স্বপ্ন আমি যেন জাতীয় তারকা ফুটবলার হই।  যুগান্তর: ফুটবলার হওয়ার পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি? সাকিব আল হাসান: আমার আব্বুর অবদান সবচেয়ে বেশি। খেলার প্রতি তার অনেক আগ্রহ। তিনি সবসময় চাইতেন আমি যেন ফুটবলার হই। মূলত তার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতেই আমি ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য স্থির করি। বাবা আমাকে ২০১৮ সালে ফুটবল শেখার জন্য বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ভর্তি করে দেন। এখন আমি বিকেএসপিতে দশম শ্রেণিতে পড়ছি। বিকেএসপির হয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে গিয়ে দিল্লিতে একটি ম্যাচ খেলেছিলাম। সেই ম্যাচে আমি গোলকিপার ছিলাম। তবে দুর্ভাগ্য আমরা ম্যাচটায় ১-০ গোলে হেরে যাই।  যুগান্তর: গোলকিপার হওয়ার পেছনের কারণ? সাকিব আল হাসান: আসলে ফুটবলে গোলকিপার পজিশনটা আমার ভালো লাগে। আমি যখন টিভিতে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলা দেখতাম তখন থেকেই গোলকিপার পজিশনটা পছন্দ। আমার বাবাও গোলকিপার ছিলেন। আমিও বাবার স্বপ্নপূরণে গোলকিপিংই বেছে নিয়েছি। তবে আমার আইডল হলেন ব্রাজিলের জনপ্রিয় গোলকিপার এলিসন বেকার।  যুগান্তর: কখনও খেলাধুলার জন্য মার খেয়েছেন? সাকিব আল হাসান: অনেকবার খেয়েছি। কেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ে সিক্স-সেভেনে পড়ার সময় ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে অনেকবার স্যারদের হাতে মার খেয়েছি।  যুগান্তর: আপনার কি মনে হয় এখন ফুটবলকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়? সাকিব আল হাসান: অবশ্যই, আমিতো ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। ফুটবলার হতে পেরে আমি খুব খুশি। এ নিয়ে আমার মধ্যে কোনো আক্ষেপ নেই। আমার মতো যারা তরুণ আছে, তাদের উদ্দেশে আমি বলব- নেশা বা আড্ডায় সময় না কাটিয়ে খেলাধুলায় অংশ নেয়া উচিত। সুযোগ থাকলে খেলাধুলায় ক্যারিয়ার গড়া ভালো।  যুগান্তর: আপনার এখন টার্গেট কী? সাকিব আল হাসান: আমার একটাই লক্ষ্য ফুটবলের সাকিব হওয়া। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে। সেটা করতে পারলে স্বপ্ন আছে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার।  যুগান্তর: নতুন বছরের শুভ কামনা। সাকিব আল হাসান: শুভ কামনা।
বাংলাদেশের মানুষ সাকিব নামে দুইজনকে চেনেন। একজন সাকিব আল হাসান, আরেকজন শাকিব খান। সাকিব আল হাসান ক্রিকেট খেলে বিশ্বে পরিচিত। আর শাকিব খান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গেও বেশ জনপ্রিয়।
আমার কোনো হতাশা নেই: আশরাফুল
একটা সময়ে জাতীয় দলের অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যান বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া ৩৬ বছর বয়সী এ তারকা ক্রিকেটার এখনও মুখিয়ে আছেন জাতীয় দলে খেলার জন্য। বছরের শেষ মুহূর্তে যুগান্তরকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আশরাফুল। তার সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো- যুগান্তর: কেমন আছেন? মোহাম্মদ আশরাফুল: আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ এখনও ভালো রেখেছেন। পরিবার-আত্মীয় স্বজন সবাই ভালো আছে। যুগান্তর: বছরটা কেমন কাটল? মোহাম্মদ আশরাফুল: বছরটাতো করোনায়ই শেষ হয়ে গেল। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, একটা ছেলে সন্তান আমাকে দিয়েছেন। যুগান্তর: এবছর যে আশা করেছিলেন সেটা পূরণ হয়েছে কি? মোহাম্মদ আশরাফুল: যেভাবে বছরটা শুরু করেছিলাম, প্রত্যাশা ছিল সেটা ধারাবাহিক অব্যাহত রাখার। নিয়মিত পারফর্ম করে যাওয়া। কিন্তু সেই আশা পুরণ হইল কই! করোনায় বছর শেষ। যুগান্তর: বছরের শুরুতে বিসিএলে টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করেছিলেন..। মোহাম্মদ আশরাফুল: বছরের শুরুটা আসলে ভালো হয়েছিল। খেলাটা কন্টিনিউ হলে ভালো হতো। আসলে খেলায় থাকলে ভালো লাগে। যুগান্তর: নতুন বছরে আপনার কি লক্ষ্য? মোহাম্মদ আশরাফুল: পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার খেলা শুরু হবে। তখন চেষ্টা করব নিজের সর্বোচ্চ উজার করে দিয়ে খেলার।  যুগান্তর: কিছুদিন আগে বলেছিলেন একদিনের জন্য হলেও জাতীয় দলে ফিরতে চান....। মোহাম্মদ আশরাফুল: খেলতে তো চাই। দেখা যাক, কি হয়! পরিকল্পনা আছে। জাতীয় দলে ঢুকতে পারলে খুশি হব। ভালোভাবে ঢুকতে চাই। ভালো খেলেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। তার আগে সবকিছু নরমাল হোক। ভ্যাকসিন এখনও আসেনি। ভ্যাকসিন আসলে খেলা মাঠে গড়ালে ভালো হবে। যুগান্তর: আর কতদিন ক্রিকেট খেলতে চান? মোহাম্মদ আশরাফুল: আরো তিন থেকে চার বছর খেলতে চাই। ফিটনেস আলহামদুলিল্লাহ ঠিক আছে। খেলাটা কন্টিনিউ করতে চাই। যুগান্তর: ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কি করার পরিকল্পনা আছে? মোহাম্মদ আশরাফুল: এখনও সেই চিন্তা করেনি। তবে ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকতে চাই।  যুগান্তর: যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জাতীয় দল বা বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করা বা অন্যকোনো প্রস্তাব আসে, গ্রহণ করবেন? মোহাম্মদ আশরাফুল: এখনও এসব চিন্তা করিনি। বয়স যেহেতু আছে, এখনও খেলতে চাই। ওইসব জায়গায় যাওয়ার এখনও অনেক সময় আছে। খেলার মজাই আলাদা।খেলতেই ভালো লাগে। খেলা একবার ছেড়ে দিলে তো আর ফিরতে পারব না। কাজেই খেলা চালিয়ে যেতে চাই। যুগান্তর:আপনার মেয়ে তো বড় হয়ে যাচ্ছে, তাকে নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী? মোহাম্মদ আশরাফুল: ছেলের বয়স মাত্র ছয় মাস। মেয়েটার চার বছর চলছে। প্রথম কথা হলো ভালো মানুষ বানাতে চাই। মেয়েটা এখন দৌড়াদৌড়ি করতে পছন্দ করে। করোনার কারণে কোথায়ও ঘুরতে নিয়ে যেতে পারছি না। তবে ওরা যদি খেলতে চায় তাহলে সুযোগ করে দেব। খেলার জন্য জোর করব না। আমার বড় ভাই মোশতাক আহমেদের ছেলে তানজিল আহমেদ গোড়ান ক্রিকেট একাডেমিতে খেলছে। ও আফতাবনগরে প্রাকটিস করে। ওকে এখন হেল্প করছি। দেখা যাক, আমার ছেলেমেয়েরাও যদি খেলাধুলা পছন্দ করে তাহলে হেল্প করব। যুগান্তর: আপনার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কোনো আক্ষেপ আছে? মোহাম্মদ আশরাফুল: ক্যারিয়ার নিয়ে আমার কোনো হতাশা নেই। যা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ, তাতেই আমি সন্তুষ্ট।  যুগান্তর: নতুন বছরের শুভ কামনা।  মোহাম্মদ আশরাফুল: শুভ কামনা।
একটা সময়ে জাতীয় দলের অটোমেটিক চয়েজ ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যান বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া ৩৬ বছর বয়সী এ তারকা ক্রিকেটার এখনও মুখিয়ে আছেন জাতীয় দলে খেলার জন্য। বছরের শেষ মুহূর্তে যুগান্তরকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আশরাফুল। তার সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
বরিশালের ষষ্ঠ জয়, ধরে ফেলল সিলেটকে
চট্টগ্রামকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ জয় তুলে নিল সাকিবের বরিশাল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে বরিশাল। এই জয়ে আবারো সিলেটকে ধরে ফেলেছে বরিশাল। দুই দলেরই সমান ১২ পয়েন্ট। টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম। নির্ধারিত ২০ ওভারে দলটি ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় দলটি। ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী মারুফ। ১০২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সেখান থেকে প্রথমবারের মতো এবারের বিপিএলে মাঠে নামা ক্যাম্পার এবং ইরফান শুক্কুর দ্রুত ৬৬ রানের জুটি গড়লে লড়াই করার মতো বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ইরফান শুক্কুর ২০ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হলেও অন্য প্রান্তে ক্যাম্পার ছিলেন অপরাজিত। মাত্র ২৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন এই আইরিশ ক্রিকেটার। বরিশালের পক্ষে সৈয়দ খালেদ এবং কামরুল ইসলাম ২টি করে উইকেট শিকার করেন। রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের উপহার দেন ফরচুন বরিশালের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কিন্তু যোগ সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছিলেন না কাউকেই। ১০ রানে সাইফ, ২ রানে সাকিব, শূন্য রানে মাহমুউল্লাহ ও ৩ রানে ডি সিলভা সাজঘরে ফেরেন। এদিকে এনামুল হক বিজয় ৫০ বলে করেন ৭৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। সুবিধা করতে পারেননি পরের উইকেটে খেলতে নামা ইফতেখার। আউট হন ২০ বলে ১৩ রানে। এমতাবস্থায় দলের হাল ধরে প্রতি আক্রমণে গিয়ে ঝড় তোলেন করিম জানাত। তাকে সঙ্গ দেন সালমান। দুজনের ২১ বলে ৫০ রানের জুটিতে বরিশাল পেয়ে যায় জয়। ১২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করেন করিম। সালমান ১৪ বলে ১৮ রান করেন।
চট্টগ্রামকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ জয় তুলে নিল সাকিবের বরিশাল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে বরিশাল। এই জয়ে আবারো সিলেটকে ধরে ফেলেছে বরিশাল। দুই দলেরই সমান ১২ পয়েন্ট।
বিপিএল সেরা একাদশে জায়গা পেলেন যারা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সদ্য শেষ হওয়া সপ্তম আসরে দুর্দান্ত খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে সেরা একাদশ সাজিয়েছে ক্রিকইনফো।  ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সেরা একাদশে জায়গা হয়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে দুর্দান্ত খেলা ইমরুল কায়েসের। ১৩ ম্যাচে চার ফিফটিতে ৪৯.১১ গড়ে ৪৪২ রান করেও সেরা একাদশে জায়গা হয়নি কায়েসের।  সেরা একাদশে জায়গা হয়নি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পেস বোলার রুবেল হোসেনের। বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম করে সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সবচেয়ে কম ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করে শীর্ষে রয়েছেন। ১৩ ম্যাচে ২০  উইকেট শিকার করেছেন খুলনা টাইগার্সের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। সমান ম্যাচ খেলে ২০ উইকেট শিকার করেছেন রুবেল হোসেন।  আর ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৯৫ রান সংগ্রহ করেছেন রাইলি রুশো। সমান ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯১ রান করেছেন খুলনা টাইগার্সের নেতৃত্ব দেয়া মুশফিকুর রহিম। আর ১৫ ম্যাচ খেলে ৪৫৫ রান করেছেন বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়েলসের ওপেনার লিটন কুমার দাস।  ক্রিকইনফোর বিপিএল সেরা একাদশ: লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, রাইলি রুশো, মুশফিকুর রহিম, ডেভিড মালান, আন্দ্রে রাসেল, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ আমির,  মুজিব-উর-রহমান,  মেহেদী হাসান রানা ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সদ্য শেষ হওয়া সপ্তম আসরে দুর্দান্ত খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে সেরা একাদশ সাজিয়েছে ক্রিকইনফো।
বিপিএল শেষে বিশ্ব ইজতেমায় মুশফিকরা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, সোহরাওয়ার্দী শুভসহ কয়েকজন ক্রিকেটার শনিবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে যোগ দিয়েছেন।  বিদেশী নিবাসে অবস্থান নিয়েই তারা শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।  শনিবার রাতে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালসহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটার ইজতেমা ময়দানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমার (নিজামউদ্দিন মারকাজের) মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম। সায়েম আরও জানান, নিজামউদ্দিন মারকাজের সা’দ অনুসারীদের আয়োজনে শুক্রবার থেকে তিনদিনের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে।  রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।  এ দফার দ্বিতীয় দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনের খ্যাতিমান ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, সোহরাওয়ার্দী শুভ, জুনায়েদ সিদ্দিকী, রাকিবুল হাসান ও শাহরিয়ার নাফিস ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।  মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি, সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালসহ কয়েক ক্রিকেটার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাতে ইজতেমা ময়দানে আসার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের সাবেক অধিনায়কমুশফিকুর রহিম, সোহরাওয়ার্দী শুভসহ কয়েকজন ক্রিকেটার শনিবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে যোগ দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রাইজমানি না থাকায় অবাক আন্দ্রে রাসেল
প্রথমবারের মতো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন আঙ্গিকে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকায় এ বছর প্রাইজমানিও ছিল না। এতে বিস্মিত হয়েছেন এবারের বিপিএল শিরোপাজয়ী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। শুক্রবার মিরপুরে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসরের শিরোপা জিতেছে রাজশাহী রয়্যালস। নেপথ্য নায়ক দলটির অধিনায়ক রাসেল। গোটা টুর্নামেন্টে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দুর্দান্ত খেলে ফাইনাল ও সিরিজসেরা হয়েছেন ক্যারিবীয় তারকা। ম্যাচশেষে রাসেল বলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগে সবাই প্রাইজমানি নিয়ে খেলে। এ রকম প্রতিযোগিতায় টাকা পেলে খুশি হন ক্রিকেটাররা। আমার জন্য শিরোপা জেতা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে এই নয় যে, আমি টাকা পছন্দ করি না। টুর্নামেন্ট জিততে স্থানীয় ক্রিকেটাররা আমাদের ব্যাপক সাহায্য করেছে। আমি চাই, তাদের উপযুক্ত যত্ন নেয়া হোক। কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আকুল আবেদন, ওদের যেন বোনাস দেয়া হয়। এবারের বিপিএলে প্রাইজমানি নেই। বেশ আগেই বিষয়টি জানান বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে হওয়া বিপিএলে কোনো প্রাইজমানি নেই। কারণ এবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। কেবল স্পন্সর আছে। এবারের বিপিএলে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মূলত অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশের আদলে ২০১৯-২০ টুর্নামেন্ট পরিচালনা করেন তারা।
প্রথমবারের মতো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন আঙ্গিকে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকায় এ বছর প্রাইজমানিও ছিল না। এতে বিস্মিত হয়েছেন এবারের বিপিএল শিরোপাজয়ী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।
বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় আন্দ্রে রাসেল
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুরুটা উড়ন্ত ছিল রাজশাহী রয়্যালসের। শেষটাও হলো চোখধাঁধানো। শুক্রবার মিরপুরে ফাইনালে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। এই জয়ের নেপথ্য নায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এবার রাজশাহীর অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ফাইনালসহ গোটা টুর্নামেন্টে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ক্যারিবীয় এই তারকা। ফলস্বরুপ দুটি পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। এবারের বিপিএলে সেরা খেলোয়াড় এবং ফাইনালি লড়াইয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া কোনো বিদেশি অধিনায়ক হিসেবে এ প্রতিযোগিতায় প্রথম শিরোপা জেতার নজির গড়লেন তিনি। সিরিজের অন্যান্য ম্যাচের মতা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন রাসেল। ম্যাচ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি। ব্যাট হাতে ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি। বোলিংয়েও সফল  ছিলেন রাসেল। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩২ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন তিনি। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টে মুশফিকুর রহিমের মতো গুরুত্বপূণ উইকেটটিও তুলে নেন এই পেসার। দুরন্ত অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও ওঠে তার হাতে। শুধু ফাইনাল নয়, গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান রাসেল। ফলে বিপিএলের সপ্তম আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। ১৩ ম্যাচ খেলে ৫৬.২৫ গড়ে ১৮০ স্ট্রাইক রেটে ২২৫ রান করেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। তার উইলো থেকে একটি অর্ধশতকও এসেছে। রাসেল বল হাতে ৮.৭৫ ইকোনোমিতে নেন ১৪ উইকেট। তাই সিরিজসেরা পুরস্কারটিও ঝুলিতে ভরেছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর থেকে দুই হাত ভরে নিয়ে গেলেন ৩১ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুরুটা উড়ন্ত ছিল রাজশাহী রয়্যালসের। শেষটাও হলো চোখধাঁধানো। শুক্রবার মিরপুরে ফাইনালে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা।
সমর্থকদের কাছে মুশফিকের দুঃখপ্রকাশ
বিপিএল সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বিপিএল ফাইনালে রাজশাহী রয়েলসের বিপক্ষে ১৭১ রানের টার্গেট তাড়ায় ২১ রানে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করেছে খুলনা।  শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ শেষে মুশফিক বলেছেন, আবারও কখনো ফাইনালে উঠলে আমি অবশ্যই ভালো করা চেষ্টা করব। পুরো আসর জুড়ে অনেক স্মৃতি জড়ো রয়েছে। আশা করি বিপিএল  আগামী আসরে এখনকার চেয়ে ভালো দল গঠন করে চ্যাম্পিয়ন হব। মুশফিক আরও বলেছেন, সতীর্থদের ধন্যবাদ, দেড় মাস সবাই বিপিএলে খেলেছি। ফাইনালে ভালো ম্যাচ প্রত্যাশা ছিল। যদিও আমরা হেরে গেছি। যদিও ওদের ১৫-২০ রান কমেই আটকে রাখতে পারতাম, হয়ত ফল আমাদের পক্ষে আসত। ১৬ ওভার পর্যন্ত আমরা ভালো বল করেছি। এরপর ক্যাচ ড্রপ আর বেশি রান দেয়ার মাশুল গুনতে হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, একাদশে ৭ জনই দেশি খেলোয়াড়, তাই স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভালো করা আবশ্যক। বিদেশি ক্রিকেটাররাও ভালো পারফর্ম করেছে। তবে ফাইনালে আমরা যথেষ্ট ভালো করতে পারিনি। সতীর্থ ও কোচিং স্টাফদের ধন্যবাদ দিতে চাই, টুর্নামেন্টজুড়ে অনেক অবদান রেখেছে সবাই। মুশফিক আরও বলেন, ফাইনালে যেমন ভালো খেলা উচিত ছিল, ততটা ভালো আমরা খেলতে পারিনি। বোলিংয়ে প্রথম ১৬ ওভার পর্যন্ত আমাদের ভালোই ছিল। কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে তা আর ভালো থাকেনি। আমরা ভালো বল করিনি ঐ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
বিপিএল সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বিপিএল ফাইনালে রাজশাহী রয়েলসের বিপক্ষে ১৭১ রানের টার্গেট তাড়ায় ২১ রানে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করেছে খুলনা।
পরাজয়ের ব্যাখ্যায় যা বললেন মুশফিক
পুরো বিপিএলে দুর্দান্ত খেলেও ফাইনালে গিয়ে হোচট খেল খুলনা টাইগার্স। রাজশাহী রয়েলসের বিপক্ষে ১৭১ রানের টার্গেট তাড়ায় ২১ রানের পরাজয় নিয়ে কথা বলেছেন মুশফিকুর রহিম। ফাইনালে পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিক বলেন, ওরা ১০ থেকে ১৫ রান বেশি করে ফেলেছে। তাছাড়া আমাদের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত যদি একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকত তাহলে রান তাড়া সম্ভব হতো। মুশফিক আরও বলেন, ফাইনালে যেমন ভালো খেলা উচিত ছিল, ততটা ভালো আমরা খেলতে পারিনি। বোলিংয়ে প্রথম ১৬ ওভার পর্যন্ত আমাদের ভালোই ছিল। কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে তা আর ভালো থাকেনি। আমরা ভালো বল করিনি ঐ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। তিনি আরও বলেন, শিরোপা না জিততে পারায় আপসেট তো অবশ্যই। পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলেছি। ফাইনালে উঠে ট্রফি জিততে না পারলে তো খারাপ লাগেই। তাই হতাশা আছে অবশ্যই। এবার প্রথমবার ফাইনালে উঠেছি। আশা করছি আগামীতে ফাইনাল খেললে ঠিক ট্রফি জিতব। ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে দলীয় মাত্র ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় খুলনা। এরপর তৃতীয় উইকেটে রাইলি রশোকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন শামসুর রহমান শুভ। মুশফিক বলেন, শামসুর রহমান শুভ আর রাইলি রুশো বেশ ভালো খেলে একটা পার্টনারশিপ দাঁড় করিয়ে এগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু দুজনই খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হওয়ায় হিসেবটা আবার জটিল হয়ে ওঠে। আর আমি যখন উইকেটে যাই ততক্ষণে ওভার পিছু লক্ষ্যমাত্রা ১৫ রানে গিয়ে ঠেকেছে। যেটা নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে গিয়ে আমার পক্ষে করা বেশ কঠিন ছিল।
পুরো বিপিএলে দুর্দান্ত খেলেও ফাইনালে গিয়ে হোচট খেল খুলনা টাইগার্স।রাজশাহীরয়েলসেরবিপক্ষে ১৭১ রানের টার্গেট তাড়ায় ২১ রানের পরাজয় নিয়ে কথা বলেছেন মুশফিকুর রহিম।
বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়েলস। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগারর্সকে ২১ রানে হারিয়ে বিপিএলের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে রাজশাহী। এর আগে ২০১৬ সালে বিপিএল ফাইনালে উঠেও ঢাকা ডায়নামাইটের বিপক্ষে হেরে শিরোপ বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহী। তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। সপ্তম আসরের শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন দলটি। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী রয়েলস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ইরফান শুককুর। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২০ বলে ৪১ রান করেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ। আর ১৬ বলে ২৭ রান করেছেন দলের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। বিপিএল প্রথম শিরোপা জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উকেটে রাইলি রুশোর সঙ্গে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।  এক সময় মনে হয়েছিল হেসেখেলেই জিতে যাবে মুশফিকের খুলনা টাইগার্স। ২ উইকেটে ৮৫ রান করা খুলনা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। তার ইনিংসটি ৪৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ২৬ বলে ৩৭ রান করেন রাইলি রুশো। ২১ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১২ রান করেন রবি ফ্রাঙ্কলিঙ্ক। দুই অঙ্কের ফিগার রান করতে পারেননি খুলনার ৬ ব্যাটসম্যান। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস। শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। সংক্ষিপ্ত স্কোর রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)। খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (শামসুর রহমান ৫২, রাইলি রুশো ৩৭, মুশফিক ২১; মোহাম্মদ ইরফান ২/১৮, কামরুল ইসলাম ২/২৯, আন্দ্রে রাসেল ২/৩২)। ফল: রাজশাহী রয়েলস ২১ রানে জয়ী।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়েলস। বঙ্গবন্ধু বিপিএলেরফাইনালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগারর্সকে ২১ রানে হারিয়ে বিপিএলেরপ্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে রাজশাহী।
বিপিএলের ফাইনালে গ্যালারিতে ওবায়দুল কাদের
বিপিএলের ফাইনাল দেখতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হয় বিপিএল সপ্তম আসরের গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচটি। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই জমকালো ফাইনাল দেখতে ক্রিকেট বোর্ডের আমন্ত্রণে স্টেডিয়ামে যান বাংলাদেশ সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।  মিরপুর শেরেবাংলার প্রেসিডেন্ট  বক্সে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পান এমপির সঙ্গে বসে খেলা দেখেন তারা। বিপিএল ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ইরফান শুক্করের ফিফটি  আর আন্দ্রে রাসেল-মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে ১৭০/৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী রয়েলস। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া খুলনা টাইগার্সকে খেলায় ফেরান শামসুর রহমান শুভ। ৫২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। মুশফিকের ব্যাটে জয় দেখছে খুলনা।
বিপিএলের ফাইনাল দেখতে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রীওবায়দুল কাদের।
কামরুলের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরল রাজশাহী
কামরুল ইসলাম রাব্বির জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরল রাজশাহী রয়েলস। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরান জাতীয় দলের তারকা এ পেসার।  রাজশাহীর বিপক্ষে ১৭১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১ রানে ২ ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় খুলনা টাইগার্স। দলকে খেলায় ফেরাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উইকেটে রাইলি রুশোকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন শুভ। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া খুলনার দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ব্যাটসম্যান রুশোকে আউট করে সাজঘরে ফেরান রাজশাহীর পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ। ২৬ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন রুশো।  এরপর খুলনা শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১৪তম ওভারে শামসুর রহমান শুভ ও নজিবুল্লাহ জাদরানকে আউট করেন রাব্বি। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৩ বলে ৪টি চার ও দুই ছক্কায় ৫২ রান করে ফেরেন শুভ। ৪ রানে ফেরেন খুলনার আফগান ব্যাটসম্যান নজিবুল্লাহ। রাজশাহী ১৭০/৪ আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী রয়েলস। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০০ রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান। শেষ ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন রাসেল ও নওয়াজ। তাদের দায়িত্বশীলতায় লড়াই করার মতো পুঁপি পায় রাজশাহী। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন রাসেল। আর ২০ বল খেলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নওয়াজ। রাজশাহী রয়েলস ও খুলনা টাইগার্স দুই দলের সামনেই বিপিএলের প্রথশ শিরোপা জয়ের হাতছানি। দুটি দলই শিরোপার দ্বার প্রান্তে। জিতলেই ট্রফি নিশ্চিত। বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী। জয়ের জন্য মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগার্সকে ১৭১রান করতে হবে। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস। শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। সংক্ষিপ্ত স্কোর রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)।
কামরুল ইসলাম রাব্বির জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরল রাজশাহী রয়েলস। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরানজাতীয় দলের তারকা এপেসার।
নওয়াজ-রাসেলের ব্যাটিং তাণ্ডবে রাজশাহীর চ্যালেঞ্জিং স্কোর
আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী রয়েলস। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০০ রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান। শেষ ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন রাসেল ও নওয়াজ। তাদের দায়িত্বশীলতায় লড়াই করার মতো পুঁপি পায় রাজশাহী। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন রাসেল। আর ২০ বল খেলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নওয়াজ। রাজশাহী রয়েলস ও খুলনা টাইগার্স দুই দলের সামনেই বিপিএলের প্রথশ শিরোপা জয়ের হাতছানি। দুটি দলই শিরোপার দ্বার প্রান্তে। জিতলেই ট্রফি নিশ্চিত।  বিপিএল সপ্তম আসরের ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী। জয়ের জন্য মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগার্সকে ১৭১রান করতে হবে।  শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা।  তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান।  ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস।  শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।  ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।  সংক্ষিপ্ত স্কোর রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)।
আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছেরাজশাহীরয়েলস।ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে১০০রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান।
ইরফানের ঝড়ো ফিফটি
বিপিএল ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাটিং তাণ্ড চালিয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইরফান শুক্কর। তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস। শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয়  ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় রাজশাহী।  তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও সমান ছক্কায় ২৫ রান করেন লিটন।  বিপিএল ফাইনালে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন ইরফান। ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। দলকে বিপিএল ফাইনালে তুলতে আগের ম্যাচে দলীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার।
বিপিএল ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেব্যাটিং তাণ্ড চালিয়েফিফটি তুলে নিয়েছেন ইরফান শুক্কর। তবে ফিফটির পর নিজের ইনিংসটালম্বা করতে পারেননি। দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবেআউট হন তিনি। তার আগে ৩৫ বলে ৬টিচার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
বিপিএল ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে খুলনা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসরের ফাইনালে টস জিতে রাজশাহী রয়েলসকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খুলনা টাইগার্স বিপিএলে প্রথম ফাইনালে খেলছে। তবে রাজশাহী রয়েলস এনিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনালে খেলছে। এর আগে ২০১৬ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয়।  ফাইনাল ম্যাচে একটি পরিবর্তন নিয়ে খেলছে খুলনা। বাদ পড়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তার পরিবর্তে দলে ফিরেছেন তরুণ স্পিনার তানভীর ইসলাম।  তবে রাজশাহী রয়েলস আগের ম্যাচে যাদের নিয়ে খেলেছে তারাই রয়েছেন ফাইনালে। টিম জয়ের ধারায় থাকায় কম্বিনেশন ভাঙতে চাননা অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। রাজশাহী রয়েলস: লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, ইরফান শুক্কর, অলক কাপালি, শোয়েব মালিক, আন্দ্রে রাসেল, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফরহাদ রেজা, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আবু জায়েদ রাহী ও মোহাম্মদ ইরফান। খুলনা টাইগার্স: নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হামান মিরাজ, রাইলি রুশো, শামসুর রহমান শুভ, মুশফিকুর রহিম, নজিবুল্লাহ জাদরান, রবি ফ্রাঙ্কলিঙ্ক, মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসরের ফাইনালে টস জিতে রাজশাহী রয়েলসকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
বিপিএলের ফাইনাল দেখতে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটপ্রধান
বিপিএল ষষ্ঠ আসরের ফাইনাল দেখতে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। সপ্তম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও থাকছেন অতিথি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালি লড়াই দেখতে ঢাকায় আসছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেভিন রবার্টস। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে আসছেন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের সিইও রবার্টস। এদিন দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার পৌঁছানোর কথা। তবে শুধু বিপিএল ফাইনাল ম্যাচ দেখাই রবার্টসের সফরের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। এ সময়ে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি বলে জানিয়েছেন বিসিবি সিইও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ট্রফি জয়ের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হবে রাজশাহী রয়্যালস। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
বিপিএল ষষ্ঠ আসরের ফাইনাল দেখতে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর। সপ্তম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও থাকছেন অতিথি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালি লড়াই দেখতে ঢাকায় আসছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কেভিন রবার্টস।